diff --git "a/data/bengali-french.jsonl" "b/data/bengali-french.jsonl" new file mode 100644--- /dev/null +++ "b/data/bengali-french.jsonl" @@ -0,0 +1,320 @@ +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52689965", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52691027", "doc1": "ইউক্রেনের এক পুরুষ বলছেন তার নারী সঙ্গীর দ্বারা মানসিক, শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তিনি যৌন নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। সেই তুলনায় পরিবারের পুরুষ সদস্যের ওপর সহিংসতার বিষয়টি যেমন অনেক কম আলোচনায় আসে, তেমনি এ ধরণের ঘটনা খুব বেশি ঘটেও না। অনেক সমাজেই পুরুষদের জন্য পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চল নেই, এবং অনেকক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের একাই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইউক্রেনের এক তরুণ বিবিসি'র কাছে তার জীবনের ঘটনা বলেন। তার জবানিতেই তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলো এখানে। আমার প্রথমবার আমার বন্ধুরা কিছু সন্দেহ করেছিল কিনা জানি না। কিন্তু বাইরে থেকে দেখতে সবকিছু চমৎকার মনে হচ্ছিল। আমরা বন্ধুদের সাথে হাসিখুশিভাবেই দিনযাপন করছিলাম, আমাদের কোনো আর্থিক সমস্যাও ছিল না। এর মধ্যে পৃথিবীর অনেকগুলো দেশও ঘুরে আসি আমরা দু'জন। আমরা যখন অন্য কোথাও ভ্রমণ করতাম, তখন তাকে ভয় পেতাম না। সে মানুষের সামনে আমাকে নির্যাতন করে না। তবে ও যেন আমাকে একা না পায়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের পুরুষ সদস্যের ওপর সহিংসতার বিষয়টি যেমন অনেক কম আলোচনায় আসে, তেমনি এ ধরণের ঘটনা খুব বেশি ঘটেও না। মাত্র কিছুদিন আগে আমি বুঝতে পারি যে, আমার সাবেক স্ত্রী দশ বছর ধরে আমাকে ধর্ষণ করছে। ইরা আমার জীবনের প্রথম নারী ছিল। আমাদের বয়স যখন বিশের কোঠায়, তখন আমাদের পরিচয়। সেই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমার বাবা-মা আমাকে বলে রেখেছিল যে কাউকে ডেট করা শুরু করলেই আমার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের মত থাকতে হবে। অর্থাৎ সম্পর্কে জড়ালে আমার মাথার ওপর ছাদ থাকবে না। আত্মসম্মানবোধের ঘাটতি আমার মা সবসময় আমার চেহারা নিয়ে বিব্রত ছিল। তিনি মনে করতেন আমি দেখতে ভাল নই। এই কারণে আমার তীব্র আত্মসম্মানবোধ সঙ্কট ছিল। ইরার সাথে শুরুর দিকে যখন যৌনমিলন হতো, সেসময় আমার আগ্রহ ছিল যৌনসঙ্গমের। কিন্তু স্বেচ্ছায় হলেও আমাদের যৌনমিলন ঠিক স্বাভাবিক ছিল না। তা ছিল কষ্টকর এবং আগ্রাসী। প্রথমবার যখন আমরা মিলিত হই, সেটি পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এবং শেষ হওয়ার পর আমার সারা শরীর ব্যাথা করছিল। তার একটা বাতিক ছিল যে যৌনসঙ্গমের শেষে আমার বীর্যপাত করতেই হবে। বীর্যপাত না হওয়া পর্যন্ত আমি সঙ্গম চালিয়ে যেতে হতো এবং গড়ে তা এক থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী হতো। সেক্স উপভোগ্য হওয়ার কথা, কিন্তু আমার জন্য বিষয়টি সেরকম ছিল না। আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না এবং আমি ভাবতাম এটাই স্বাভাবিক, আর তাই যৌনমিলনে রাজী হতাম। কিন্তু কিছুদিন পরই আমি যখন তাকে 'না' বলা শুরু করলাম, তখনই আমি ধর্ষিত হওয়া শুরু করি। আরো পড়তে পারেন: পুরুষ নির্যাতন: কতটা ? সমাজ কি এড়িয়ে যাচ্ছে ? 'পুরুষ অধিকার' রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন যারা ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ সঙ্গীর দ্বারা নির্যাতনের ফলে হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন ইউক্রেনের ঐ তরুণ যেভাবে ফাঁদে পড়লাম একবার ব্যবসার কাজে আমার দীর্ঘদিনের জন্য বিদেশ যেতে হয়। আমার ভয় হয় যে কাজ শেষে দেশে ফিরে আমি হয়তো ইরাকে আর ফিরে পাবো না। তাই আমি তাকে আমার সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেই। এমনকি সফরে যাওয়ার আগে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেই আমি। সে বিয়ে না করলেও আমার সাথে সফরে যেতে রাজি হয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় মূল ঘটনা। সারাদিন কাজ শেষে আমি পরিশ্রান্ত থাকতাম, আর সে যৌনমিলন করতে চাইতো। প্রথমে কয়েকদিন রাজি হলেও পরে আমি যখন রাজি হতাম না, সে তখন বলতো, \"এটা আমার চাহিদা, সুতরাং তোমার আমাকে দিতেই হবে। আমি বহুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।\" তখন আমি বলতাম, \"আমি ক্লান্ত। আমি বিশ্রাম নিতে চাই।\" তখন সে আমাকে আক্রমণ করতো। নখ দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকতো যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি রক্তাক্ত হতাম। সে কখনও আমার মুখে আঘাত করতো না। এমন জায়গায় করতো যা পোশাকের নীচে থাকবে: যেমন বুকে, পিঠে বা হাতে। আমি কখনও প্রতিবাদ করতাম না কারণ আমি মনে করতাম একজন নারীকে আঘাত করা ঠিক কাজ নয়। আমি হীনমন্যতায় ভুগছিলাম এবং নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল। যৌনসঙ্গমের সময় সাধারণত সে আমার ওপরে থাকতো। হোটেলে একবার নিজের জন্য আলাদা রুমও নিতে চেয়েছিলাম আমি। কিন্তু আমি তাদের ভাষা বুঝতাম না, তাই শেষপর্যন্ত রুম নিতে পারিনি। কাজ শেষে হোটেলে ফিরে যেতে ভয় লাগতো আমার। তাই রুমে ফিরে না গিয়ে বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে বেড়াতাম। শপিংমল বন্ধ হওয়ার পর ঘুরতাম শহরের অলিগলিতে। শরৎকালের ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এরকম ঘোরাঘুরির ফলে আমার ইউরিন ইনফেকশন, প্রোস্টেইটিস ও জ্বর হয়। কিন্তু এসব কিছুই ইরাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সে যা চাইতো, তা আমার করতে হতো। সবচেয়ে খারাপ ছিল ছুটির দিনগুলো: শনিবার সকালে আর রবিবার রাতে হতো এটি। আমি ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার দিন গুনছিলাম। আমি ভেবেছিলাম ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার পর আমার আর ইরার সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। দশ বছর সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের চেষ্টা করে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তি বিচ্ছেদের বিফল চেষ্টা ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার পর আমি আমার বাবা-মা'র সাথে থাকতে শুরু করি, ইরার সাথে যোগাযোগ করাও বন্ধ করে দেই। কিন্তু তার সাথে বিচ্ছেদের প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হয় দশ বছর পর্যন্ত। আমি তার সাথে ঝগড়া করে সবকিছু থেকে তাকে ব্লক করে দিতাম, সে এলে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতাম। কিন্তু সে বন্ধ দরজার ওপারে বসে আমাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করতো, বলতো যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর প্রতিবারই আমি শেষপর্যন্ত তার কাছে ফিরে যেতাম। একা থাকাকে ভীষণ ভয় পেতাম আমি। শুরুর দিকে আমি তার সাথে ছাড়াছাড়ির অনেক চেষ্টা করলেও সময়ের সাথে সাথে আমার চেষ্টাও কমতে শুরু করে। পরে একপর্যায়ে আমি চেষ্টাই ছেড়ে দেই। সে আমাকে বিয়ে করতে চায়, এবং আমরা বিয়ে করিও। যদিও আমার বিয়ে করার কোনো আগ্রহ অবশিষ্ট ছিল না। ইরা সবার ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত ছিল। আমার বন্ধু, পরিবার সবার ব্যাপারে। আমি যেখানেই যেতাম, আমার সবসময় তাকে ফোন করতে থাকতে হতো। সে সবসময় আমাকে প্রশ্ন করতো যে 'কেন কনফারেন্সে যেতে হবে আমার?' বা 'কেন আমি বন্ধুদের সাথে দেখা করি?' আমাকে ছাড়া সে কোথাও যেতে পারতো না - আমি যেন সব জায়গায় তার মনোরঞ্জন করার খেলনা ছিলাম। ইরার কোনো চাকরি ছিল না। আমার আয়েই আমাদের খরচ চলতো। দুই বেডরুমের একটা বড় অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেই আমরা। বাসার বড় বাথরুম ব্যবহারের অনুমতি ছিল না আমার। আমার সবসময় 'গেস্ট' বাথরুম ব্যবহার করতে হতো। প্রতিদিন সকালে সে ঘুম থেকে ওঠার আগে আমার অপেক্ষা করতে হতো, যেন আমি তার ঘুমের 'ব্যাঘাত' না ঘটাই। আমরা ঘুমাতামও ভিন্ন রুমে এবং আমার রুম বন্ধ করার ব্যবস্থা ছিল না। আমি এক মুহুর্তের জন্যও একা থাকতে পারতাম না। আমি যদি 'ভুল' কিছু করতাম, তখন সে আমার সাথে চিৎকার করতো এবং আমাকে মারতো। প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটতো। যে কোনো বিষয়ে সে আমার দোষ দিতো। আমি সবসময় শুনে এসেছি যে তার কোন ধরণের পুরুষ পছন্দ এবং তার জন্য সেই পুরুষ কী কী করবে। সে যা করতে বলতো, শুধু তার রাগ থেকে বাঁচা��� জন্য আমি তাই করতাম। আমি দাবি করছি না যে আমি ত্রুটিমুক্ত। এসব থেকে দূরে থাকতে আমি দিনে ১০, ১২, ১৪ ঘণ্টা করে কাজ করতাম - এমনকি ছুটির দিনেও। এটা এমন কিছু না, এ ধরণের পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ মদ্যপান করে - অন্যরা কাজ করে। যেভাবে বেরিয়ে আসার শুরু আপনি যখন ওরকম একটা পরিস্থিতিতে থাকবেন, তখন আপনার সাথে কী হচ্ছে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন না আপনি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথও আপনি দেখতে পাবেন না, আবার কারো সাহায্যো চাইতে পারবেন না। আপনার মনে হতে থাকবে এই অবস্থা থেকে আপনার মুক্তির পথ নেই। হতাশায় ডুবে যাওয়ার মত একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমার ধারণা ছিল যে সম্পর্কের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে হয়। তাই আমি নিজেকে এবং নিজের ইচ্ছাগুলোকে ত্যাগ করেছিলাম। সেসময় এই ত্যাগকে স্বাভাবিকই মনে হয়েছিল। সম্পর্কের শুরুর দিকে সেক্স ভালো লাগলেো পরে একটা লম্বা সময় আমার আর সেক্স ভালো লাগতো না। কিন্তু শেষ তিন চার বছর সেক্সের কথা চিন্তা করলেই আমার প্যানিক অ্যাটাক হতো, আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়তাম। যখনই ইরা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধরে আমার সাথে যৌনমিলনে উদ্যত হতো, তখনই এরকম হতো। আমার মধ্যে যখন আতঙ্ক তৈরি হতো, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঘর থেকে, কখনো বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতাম। ইরার বিশ্বাস ছিল আমার জন্যই আমাদের যৌনজীবনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই কয়েক বছর পরপর আমাকে সেক্সোলজিস্টের কাছে নিয়ে যেতো সে। যখনই আমি বলতাম যে সেক্সের সময় আমার কিছু একটা পছন্দ হচ্ছে না, অথবা আমার সেক্স পছন্দ না - সে আমাকে বলতো যে আমিই আসল সমস্যা। আমাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের ব্যাপারে আমি সাধারণত নীরব থাকতাম। আর চিকিৎসকের সাথে দেখা করার ঘটনাগুলোর মাধ্যমে ইরা নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠার একটা সুযোগ পেয়েছিল। ডিভোর্সের কিছুদিন আগে থেকে আমি যৌন সহিংসতার কথা মানুষকে বলা শুরু করি। আর বলা শুরু করার পর আমি আর থামিনি। যেভাবে সাহায্য পেলাম এক শরতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আমার টানা জ্বর ছিল। ঐ পুরোটা সময় কেউ আমার খোঁজ খবর নেয়নি। তখনই আমার মাথায় আসে যে আমার জীবন আসলে অর্থহীন। আমি মারা গেলেো কেউ খেয়ালই করবে না। সেই মুহুর্তটায় একসাথে আতঙ্ক, দুঃখ আর নিজের উপর ধিক্কারের একটা মিশ্র অনুভূতি বোধ হয় আমার। আমার কারো সাথে এনিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করছিল - কিন্তু অমার কোনো ধারণা ছিল না কার সাথে কথা বলা যায়। এর কিছুদিন পর আমি আমার বাবা-মা'র বাসায় যাই কয়েকদিন একা থাকার জন্য। সেসময় তারা বাসায় ছিলেন না। সেসময় ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইটে পরিচয় প্রকাশ না করে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো জানাই আমি একজনকে। সেবারই প্রথম আমি কারো সাথে সেসব ঘটনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। সেখান থেকে আমি সাহস পাই এবং ধীরে ধীরে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠি। আগে সেক্স করতে না চাইলে আমি চুপ করে থাকতাম এবং নির্যাতন সহ্য করতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি 'না' বলা শুরু করলাম। একপর্যায়ে আমি পারিবারিক একজন চিকিৎসকের সাহায্যও পাই। সেসময় আমি ও ইরা দু'জনই ঐ চিকিৎসকের সাথে একসাথে আলোচনা করতাম। ঐ সময়ই আমি প্রথমবার কোনো চিকিৎসকের সামনে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলতে সক্ষম হই। আর সেগুলো বলার পর ইরা ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে বলতে থাকে যে আমার অভিযোগ মিথ্যা। তবে ঐ ঘটনার পরপরই সে ডিভোর্সের পরামর্শ দেয়। আমিও সুযোগ হাতছাড়া করিনি। একমাস পর যেদিন ডিভোর্সের কাগজ হাতে পাই, সেটি ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ডিভোর্সের পর একদিন আমি চিৎকার করে তাকে বলি, \"তুমি আমাকে ধর্ষণ করছিলে?\" সে উত্তর দিয়েছিল, \"ধর্ষণ করছিলাম? তো কি হয়েছে!!\" সেদিন তার কথার উত্তর দিতে পারিনি আমি, এখনও সেই উত্তর জানা নেই। তবে সে অন্তত স্বীকার করেছে অভিযোগ, যদিও এ নিয়ে হাসাহাসিই বেশি করেছে। পারিবারিক ও যৌন সহিংসতা বিষয়ক সাপোর্ট গ্রুপের সাহায্য পেলে ও তাদের সাথে কথা বলতে পারলে আমি হয়তো আগেই এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে পারতাম, কিন্তু ইউক্রেনে এরকম সাপোর্ট গ্রুপ রয়েছে শুধু নারীদের জন্য। এমনকি ইউক্রেনে আমি প্রথম যেই সাইকোথেরাপিস্টের কাছে নিজের সমস্যার কথা বলি, তিনি হেসে দিয়ে বলেছিলেন, \"তোমার স্ত্রী নারী আর তুমি পুরুষ। সে তোমাকে ধর্ষণ করতে পারে না।\" ছয়বার সাইকোথেরাপিস্ট পরিবর্তন করার পর এখন আমি কিছুটা সাহায্য পাচ্ছি। আমার মানসিক ক্ষতি হয়তো কখনোই পুরোপুরি পুষিয়ে নেয়া যাবে না। কিন্তু আমি মনে করি আমি যেমন বছরের বছর চুপ ছিলাম, আমার গল্প পড়ে আমার মত অভিজ্ঞাতার অন্য একজন ব্যক্তি হয়তো সাহস করে সাহায্য চাইবে, কারো সাথে কথা বলবে।", "doc2": "Les attaques contre les partenaires et les membres masculins de la famille sont beaucoup moins fréquentes et sont peu relayées. La violence domestique contre les hommes est un tabou dans de nombreuses sociétés, et les victimes doivent souvent faire face seules à leur combat. Un jeune Ukrainien a partagé son histoire avec la BBC, sous réserve d'anonymat. Voici ce qu'il nous a dit, ainsi que quelques conseils d'experts sur la manière de reconnaître les signes de violence domestique et sur les mesures à prendre pour y remédier. Ma première fois Je ne sais pas si mes amis se doutaient de quelque chose. De l'extérieur, tout semblait parfait : des visages souriants, des amis, beaucoup d'argent, du bonheur et de la confiance. Nous avons parcouru la moitié du monde ensemble. Je n'avais pas à la craindre quand nous voyagions : elle ne me ferait pas de mal devant d'autres personnes. Le plus important était d'éviter d'être en tête à tête avec elle. Ce n'est que récemment que j'ai réalisé que mon ex-femme me violait depuis dix ans. Ma première fois avec une femme a été avec Ira. Nous nous sommes rencontrés au début de la vingtaine - c'est elle qui m'a demandé de sortir avec elle. Mes parents m'ont dit que je devais déménager immédiatement après avoir commencé à sortir avec quelqu'un. En d'autres termes, commencer une relation signifiait renoncer à sa famille et à un toit ; en un jour, j'ai dû tout perdre. C'était effrayant. Je n'aurais donc pu me permettre une relation que lorsque j'aurai économisé assez d'argent pour vivre seul. Une faible estime de soi En plus de cela, ma mère avait honte de moi et de mon apparence - j'avais une très faible estime de moi. Mes premiers attouchements sexuels ont eu lieu avec Ira et à l'époque, c'est ce que je voulais. Cependant, ce n'était pas tout à fait normal : c'était douloureux et agressif. Notre premier rapport sexuel a duré environ cinq heures, et j'avais mal partout après. Lire aussi Elle avait cette manie, de vouloir qu'il y ait du sperme à la fin. j'étais astiqué jusqu'à ce qu'il soit là. En moyenne, ça durait de une à deux heures. Le sexe est censé être agréable, mais il n'a jamais été agréable pour moi. Je n'avais pas d'expérience et je pensais que c'était comme ça, alors je donnais mon consentement. Mais assez vite, j'ai dit \"Non\". Mais cela ne l'a pas arrêtée. C'est alors que ça s'est transformé en viol. Pris au piège J'ai dû partir à l'étranger pour un long voyage d'affaires. J'avais peur de perdre Ira, alors je lui ai demandé de m'accompagner. Je lui ai même proposé de se marier d'abord. Elle a refusé, mais m'a quand même rejoint. C'est là que tout a commencé. J'étais surmené et je voulais me reposer, mais elle a commencé à exiger du sexe. J'ai accepté une fois, deux fois... Elle disait : \"Je le veux, j'en ai besoin, alors tu dois le faire, allez, j'attends depuis longtemps.\" Je lui répondais : \"Non, je ne veux pas, je veux me reposer, je suis fatigué.\" Puis elle me frappait et je ne pouvais rien faire. Elle me griffait la peau avec ses ongles jusqu'à ce qu'elle saigne, elle me frappait. Elle ne laissait aucune marque sur mon visage - elle ne faisait mal qu'à ce qui était couvert : ma poitrine, mon dos, mes mains. Je n'ai pas résisté parce que je pensais que battre une femme était agressif et mal. C'est comme ça que mes parents m'avaient élevée. Je me sentais petit, faible et je ne pouvais pas m'échapper. Elle obtenait ce qu'elle voulait et elle était généralement au-dessus de moi. Une fois, j'ai essayé de louer une chambre séparée pour moi à l'hôtel. Mais je ne parlais pas la langue, alors ils ne m'ont pas compris à la réception. J'ai fini par être piégé. J'avais peur de retourner à l'hôtel après le travail, alors je me promenais dans le centre commercial jusqu'à la fermeture. Après cela, je me promenais dans la ville. C'était l'automne, froid et humide, et je n'avais pas apporté de vêtements chauds avec moi. Lire aussi J'ai donc fini par avoir des infections urinaires, de la prostatite et de la fièvre. Mais cela n'a pas arrêté Ira : je devais faire ce qu'elle voulait. Les week-ends étaient les pires : ça se passait le samedi matin et le dimanche soir. J'ai compté les jours avant de rentrer en Ukraine. Je pensais que cela mettrait fin à notre relation - mais j'avais tort. J'ai essayé de partir, mais j'ai abandonné\" Je suis retourné chez mes parents et je n'allais même pas garder le contact avec Ira, encore moins vivre avec elle. Mais mes tentatives de libération ont traîné pendant des années. Nous nous disputions, j'éteignais mon téléphone et la bloquais partout ; je me cachais mais elle venait s'asseoir de l'autre côté de la porte fermée. Elle m'appelait et me promettait que tout allait bien se passer. Et je revenais vers elle à chaque fois. J'avais tellement peur d'être seul. Au début, j'ai fait de nombreuses tentatives pour la quitter, puis de moins en moins, et j'ai fini par abandonner. Elle a insisté pour que nous nous mariions, et nous l'avons fait, bien que je ne voulais plus de cela. Ira était jalouse de tout le monde : mes amis, ma famille. Partout où j'allais, je devais toujours l'appeler. \"Pourquoi aurais-je assisté à ces conférences ?\" \"Pourquoi rencontrerais-je des amis ?\" Il fallait que je sois avec elle, à sa portée. Elle ne pouvait aller nulle part sans moi - j'étais une sorte de jouet qui devait la divertir tout le temps. Ira n'avait pas de travail - je subvenais à nos besoins, je cuisinais et je nettoyais. Nous avons loué un grand appartement avec deux salles de bain. La salle de bains principale m'était interdite et j'ai dû utiliser la salle de bains \"invités\". Chaque matin, je devais attendre qu'elle se réveille à neuf ou dix heures, sinon je perturbais son sommeil. Elle a décidé que nous devions dormir dans des chambres séparées et ma chambre n'avait pas de verrou. Je ne pouvais jamais être seul. Quand je faisais \"quelque chose de mal\", elle me criait dessus et me frappait. Cela se passait une fois par jour ou tous les deux jours. Quoi qu'il se soit passé, elle me blâmait. Je n'arrêtais pas d'entendre parler de quel genre d'homme elle avait besoin, ce qu'il était censé faire et comment il devait le faire. J'étais impuissant et je faisais tout ce qu'elle exigeait pour éviter sa colère - l'explosion qui allait bientôt suivre. Je me souviens d'avoir descendu les escaliers et d'avoir été assis dans la voiture en pleurant. Elle est passée devant moi et m'a remarquée. Lorsque je suis rentré à la maison, elle m'a dit qu'elle avait beaucoup de peine pour moi, mais qu'elle ne pouvait pas s'arrêter. Alors, tout recommençait le lendemain. Peu importe ce que j'ai fait et ce que j'ai ressenti, rien n'a changé. Je ne suis pas parfait non plus. Pour éviter tout cela, je travaillais 10, 12, 14 heures par jour, les week-ends et les jours fériés. C'était facile : certains boivent, d'autres travaillent. Pourquoi les victimes de violence ne quittent-elles pas leurs agresseurs ? - Les personnes qui ont grandi dans une famille où il y avait de la violence reproduisent le comportement de leurs parents dans leur famille. - La peur de l'isolement et des stéréotypes : \"Que vont dire les voisins ?\" \"Un enfant devrait grandir avec deux parents.\" - Les premières étapes - la violence psychologique - sont difficiles à reconnaître. Par conséquent, la personne maltraitée s'habitue progressivement et perd la capacité d'évaluer la situation et d'agir. - La personne victime de la violence n'a nulle part où aller, est financièrement dépendante de l'agresseur ou se trouve dans une position vulnérable (comme une grossesse ou avec de jeunes enfants). - Lorsqu'elle demande de l'aide aux autorités, elle entend \"ce sont des problèmes familiaux\" et abandonne. Alyona Kryvuliak, responsable du service national d'assistance téléphonique de La Strada-Ukraine, et Olena Kochemyrovska, conseillère du Fonds des Nations unies pour la population en matière de prévention et de lutte contre la violence sexiste, ont cité ces raisons, entre autres. J'ai commencé à parler et je n'ai pas pu m'arrêter Quand vous êtes dans une telle situation, vous ne réalisez pas ce qui vous arrive. Vous ne voyez pas le bout du tunnel et vous n'entendez personne. Vous ne pensez même pas que vous avez une chance de vous en sortir, c'est le désespoir total. J'ai fait des choses que je ne voulais pas faire parce que j'y étais tellement habitué. J'ai toujours \"dû\" quelque chose à tout le monde et je ne me suis jamais appartenu à moi-même. J'appartenais à ma grand-mère, à mes parents - j'ai toujours pensé qu'il fallait tout sacrifier pour le bien d'une relation. J'ai donc sacrifié mes intérêts et moi-même - cela me semblait normal à l'époque. Alors tout a empiré. Au tout début, je n'aimais pas ça, mais finalement, pendant les trois ou quatre dernières années de la relation, le sexe a déclenché des crises de panique constantes. Cela se produisait chaque fois qu'Ira parvenait à m'attraper et à me forcer. Quand je paniquais, je la repoussais, je me cachais et je m'enfuyais - je m'enfuyais de la maison, ou du moins de la pièce. Ira pensait que nous avions des problèmes sexuels à cause de moi. Elle m'emmenait donc de temps en temps chez un sexologue. Chaque fois que je disais qu'il y avait quelque chose que je n'aimais pas, et que je ne voulais tout simplement pas [de sexe], on me disait que c'était moi le problème. Je gardais le silence sur les abus et les viols. Et pour Ira, ces visites étaient la preuve de son point de vue. J'ai parlé [de la violence] peu avant le divorce. J'ai commencé à parler et je n'ai pas pu m'arrêter. Comment j'ai trouvé un soutien et un moyen de m'en sortir C'était l'automne, j'étais au lit avec une bronchite et une fièvre de 39-40C depuis environ deux semaines. Personne n'avait pris soin de moi pendant tout ce temps. C'est alors que j'ai réalisé que ma vie ne valait rien et que personne ne s'en serait aperçu si j'étais mort sur place. Ce fut un moment de lucidité : l'horreur, le dégoût et une incroyable apitoiement sur soi-même. Je voulais le dire à quelqu'un, mais je ne savais pas qui - ou comment. Une fois, je suis allé chez mes parents quand ils n'étaient pas là, juste pour être seul. J'étais en train de surfer sur Internet et j'ai participé à un chat qui a surgi dans la fenêtre de l'annonce. Tout y était anonyme, comme si vous n'existiez pas. C'était la première fois que je disais quoi que ce soit sur ce qui m'arrivait. Je ne reconnaissais toujours pas qu'il s'agissait d'un abus, mais à partir de ce moment, j'ai commencé à dire \"Non\", de plus en plus. Au début, il s'agissait de petites choses, il était important pour moi de dire \"Non\" au lieu de rester silencieux. Chaque fois que j'avais besoin de force, je me rappelais les semaines où j'étais malade. Finalement, j'ai trouvé un thérapeute familial, qui m'a apporté son soutien. Ira et moi avions le temps de parler pendant les séances, et il lui était interdit de m'interrompre. C'est alors que j'ai parlé pour la première fois de la maltraitance. Elle était tellement furieuse qu'elle m'a crié dessus et m'a dit que ce n'était pas vrai. Mais elle m'a proposé de divorcer peu après. Je ne pense pas qu'elle voulait cela, je crois que c'était sa tentative pour me faire taire. Je savais que je n'aurais pas d'autre chance et j'ai accepté. Il y avait une file d'attente dans un bureau, alors nous sommes allés dans un autre. Je me suis dit que je devais le faire tant que j'en avais encore la possibilité. Et nous avons réussi. Quand j'ai récupéré les papiers du divorce un mois plus tard, ce fut le plus beau jour de ma vie. Un jour après le divorce, je lui ai crié dessus : \"tu me violais !\" \"Je te violais ?\" a-t-elle répondu. \"Et alors ?\" Je ne savais pas quoi répondre et je ne le sais toujours pas. D'une certaine manière, elle a admis ce qu'elle avait fait, mais elle en a surtout ri. Je suis retourné chez mes parents, j'ai quitté mon travail et je suis resté à la maison pendant quelques semaines. J'avais peur qu'elle soit quelque part dehors, à me surveiller. Un jour, elle est revenue et s'est mise à frapper à la porte, à donner des coups de pied, à crier. Maman a dit qu'elle avait peur. J'ai souri à moi-même : \"Maman, tu ne peux même pas imaginer...\" Il est important de comprendre : cela vous tue Je n'ai pas recueilli de preuves et je n'ai rien dit à personne. J'aurais probablement pu le dire à mes parents, mais depuis mon enfance, je savais qu'ils n'étaient pas capables de garder des secrets. Je ne savais pas non plus comment parler à mes amis des choses qui m'arrivaient. Je cherchais des groupes de soutien, mais en Ukraine, ils sont réservés aux femmes. Finalement, j'ai trouvé une communauté en ligne de soutien mutuel pour les hommes de San Francisco. Le premier psychothérapeute en Ukraine où je suis allée s'est moqué de moi : \"Ça ne se passe pas comme ça - c'est une fille et tu es un garçon.\" J'ai donc changé six spécialistes et je reçois enfin de l'aide. Il a fallu huit mois avant que je laisse quelqu'un me tenir la main. Comment les hommes obtiennent-ils une aide psychologique ? Des groupes de soutien psychologique ont été créés au sein de la communauté du Club des pères en Ukraine, mais l'initiative n'a pas duré longtemps, explique le militant Max Levin. Selon lui, les hommes n'étaient pas prêts à aller voir un psychologue. Alyona Kryvuliak, de La Strada-Ukraine, explique que les hommes n'ont commencé à appeler à l'aide que lorsque la ligne téléphonique de La Strada a commencé à fonctionner 24 heures sur 24. Les hommes n'étaient pas en mesure de passer des appels pendant les heures de travail traditionnelles. Mais même aujourd'hui, les hommes sont surtout préoccupés par l'anonymat et ne sont pas prêts à défendre leurs droits dans les institutions publiques, comme les tribunaux ou les forces de l'ordre. Pour les victimes masculines, le retrait psychologique de la violence peut être un long processus, explique Yulia Klymenko, psychologue, psychothérapeute et sexologue. Après tout, la société n'aide pas avec des phrases telles que \"les garçons ne pleurent pas\" ou \"les hommes sont plus forts physiquement\". Une personne ayant subi un traumatisme lié à un abus sexuel, psychologique ou physique peut sembler inhabituelle pour la communauté. Selon Mme Klymenko, les clients souffrant de traumatismes complexes impliquant divers types d'abus doivent être \"réanimés\" pendant une longue période, indépendamment de leur sexe ou de leur âge. J'ai envisagé de la poursuivre en justice. Les avocats ont dit qu'il y avait une chance d'obtenir une ordonnance de restriction. Mais je n'en ai pas besoin maintenant. Pendant longtemps, j'ai juste voulu qu'elle admette ce qu'elle avait fait et qu'elle s'excuse. Je ne vais toujours pas au travail et il m'est très difficile de sortir du lit tous les matins. Je n'ai plus de raison de vivre. Je ne sais même pas ce que j'ai fait toute l'année. Je sais que je n'aurai jamais de relation et que je n'aurai jamais d'enfants. J'ai renoncé à moi-même. Mais bon sang, j'ai été silencieux pendant si longtemps, et cela a conduit à un tel gâchis ! Peut-être qu'il y a un gars dans une situation similaire en ce moment et qu'il va lire mon histoire. Il est important qu'il comprenne : ça ne finira pas, rien ne sera réglé, c'est un vrai gâchis qui ne disparaîtra jamais et qui vous tuera. Si vous comprenez cela, alors vous avez au moins une chance."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47106541", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47108115", "doc1": "খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। আন্ত:ধর্মীয় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আবুধাবি'র যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের আমন্ত্রণে আবুধাবি সফর করবেন পোপ। ঐতিহাসিক এই সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এক জমায়েতে উপস্থিত হবেন পোপ, যেখানে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে খ্রীস্টান ধর্মের শীর্ষনেতা কী বলেন - সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ইয়েমেনে অবরোধ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক হিসেবে আরব আমিরাতও রয়েছে, যেই অভিযান সমালোচনা করে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পোপ। গতবছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পোপ আহ্বান করেছিলেন যেন 'ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরো দুর্বিষহ' করে তোলা না হয়। আরো পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ রোমান ক্যাথলিক রয়েছেন, যাদের সিংহভাগ ফিলিপিন্স বা ভারতীয় বংশদ্ভূত। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক ভিডিও মেসেজে পোপ বলেন, \"ভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ দেয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।\" সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তিনি 'সহাবস্থান, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার মিলনস্থল' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবুধাবি সফরকালে পোপ কায়রো'র আল-আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সাথে দেখা করবেন। আল আজহার মসজিদের প্রধান ইমামের পদবিকে সুন্নি মুসলিম শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিসের আরব আমিরাত সফর পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরবে গীর্জা তৈরিতে সেদেশের সরকারকে উদ্বুদ্ধ করবে। সৌদি আরবে বর্তমানে অমুসলিম যে কোনো ধরণের উপাসনালয় নিষিদ্ধ। আরো পড়তে পারেন: ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষক আয়না নিয়ে যত অদ্ভুত ধারণা 'ধর্ষকের ইহাই পরিণতি' চিরকুট লিখে কারা হত্যা করছে", "doc2": "Le Pape est arrivé dans la péninsule arabique Le pape a été invité par le prince héritier d'Abou Dhabi, Cheikh Mohammed bin Zayed al-Nahyan, à participer à une conférence interconfessionnelle. Il célébrera mardi une messe qui devrait accueillir 120.000 personnes. A son départ, le Pape a mis en exergue le sort du peuple yéménite dont l'appel au secours \"s'élève jusqu'à Dieu\". \"La population est épuisée par le long conflit et un grand nombre d'enfants souffrent de la faim, mais n'ont pas accès aux dépôts de nourriture\", a dit le Pape. A lire aussi Le pape François soutient le Pacte mondial pour les migrations Abus sexuels : le pape François s'excuse Le Pape François au Caire Le pape François a condamné le conflit dans lequel les Émirats arabes unis sont impliqués en tant que membre d'une coalition dirigée par les Saoudiens. L'an dernier, le pontife a lancé un appel à la communauté internationale \"pour éviter une aggravation de la situation humanitaire déjà tragique\" au Yémen. Les Émirats arabes unis abritent également près d'un million de catholiques romains, dont la plupart viennent des Philippines ou de l'Inde. \"Je suis heureux pour cette occasion que le Seigneur m'ait donné d'écrire, sur votre chère terre, une nouvelle page de l'histoire des relations entre les religions\" a indiqué le souverain pontife dans un message vidéo jeudi. \"La foi en Dieu unit et ne divise pas, elle nous rapproche malgré les différences, elle nous éloigne des hostilités et de l'aversion.\" Les Émirats arabes unis, où le Pape se trouve, accueillent près d'un million de catholiques romains Il a rendu hommage aux Émirats Arabes Unis comme \"une terre qui se veut être un modèle de coexistence, de fraternité humaine et un lieu de rencontre entre diverses civilisations et cultures\". Pendant son séjour à Abou Dhabi, le pape rencontrera également le Cheikh Ahmed al-Tayeb, le grand imam de la mosquée al-Azhar du Caire, qui est le plus haut lieu d'enseignement des musulmans sunnites. Murad Batal Shishani, du service Arabe de la BBC qui se trouve à Abu Dhabi, souligne que le Vatican espère que la visite du Pape permettra de lever les restrictions sur la construction d'églises dans la région, en particulier en Arabie saoudite voisine où les lieux de culte non musulmans sont interdits. Les responsables du Vatican disent qu'ils ont besoin d'une présence plus forte de l'Église aux Émirats arabes unis pour servir la communauté catholique présente dans le pays. Au Vatican, Trump \"honoré\" de rencontrer le Pape François"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49518262", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49559213", "doc1": "ব্রিটেনের একজন অপরাধ বিজ্ঞানী বলেছেন, যেসব পুরুষ তাদের সঙ্গীকে হত্যা করে তারা হত্যাকাণ্ডের একটি টাইমলাইন অনুসরণ করে, যেটি অনুসন্ধানের মাধ্যমে পুলিশ এসব হত্যাকাণ্ড রুখতে পারে। মঙ্কটন স্মিথ ব্রিটেনে ৩৭২টি হত্যাকাণ্ডের উপর গবেষণা করে দেখেছেন যে এসব ক্ষেত্রে আটটি ধাপ অনুসরণ করা হয়েছে। গ্লস্টারশায়ার ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষক বলেন, অনেকের আচরণ দেখ বোঝা যায়, সে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে হত্যা করতে পারে। হত্যাকাণ্ডের শিকার একজনের বাবা বলেছেন, এ ধরণের বিষয়গুলো চিহ্নিত করা গেলে 'জীবন রক্ষা' করা সম্ভব। মিজ স্মিথ বলেন, সঙ্গীদের দ্বারা যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ নারী। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডে যে আটটি ধাপ লক্ষ্য করা গেছে . সম্পর্কের আগে উত্যক্ত করার ইতিহাস আছে . প্রেম খুব দ্রুত সিরিয়াস সম্পর্কে রূপ নেয়া . সম্পর্কের ক্ষেত্রে কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠা . সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় এবং হামলাকারী আর্থিক সংকটে পতিত হয় . সঙ্গীর ব্যবহারে আত্মহত্যার হুমকি দেবার প্রবণতা বাড়ে . হামলাকারীর চিন্তায় পরিবর্তন আসে। সে তখন প্রতিশোধ নেবার জন্য এগিয়ে যায় . হামালাকারী অস্ত্র ক্রয় করতে পারে এবং তার সঙ্গীকে একা পাওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে . পুরুষটি তাঁর সঙ্গীকে হত্যা করে এবং তাঁর সন্তানকেও আহত করার সম্ভাবনা থাকে ২০১৬ সালে অ্যালিসকে তার প্রাক্তন ছেলে বন্ধু হত্যা করে। \"আপনি যদি এসব ঘটনার দিকে তাকান, তাহলে সেখানে দেখবেন পরিকল্পনা, প্রতিজ্ঞা এবং সবসময় সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় থাকে।\" হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৪ বছর বয়সী অ্যালিস-এর বাবা এই গবেষণার প্রেক্ষাপটে বলেন, মিস স্মিথ-এর গবেষণায় যে আটটি ধাপের কথা বলা হয়েছে সেগুলো যদি পুলিশ আগে জানতো তাহলে পরিস্থিতি হয়তো ভিন্নরকম হতে পারতো। অ্যালিসের সাথে তাঁর ছেলে বন্ধুর গভীর সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর সে অ্যালিসকে উত্যক্ত করতো এবং এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তাকে হত্যা করে। অ্যালিস-এর বাবা ক্লাইভ বলেন, \" তার (অ্যালিসের প্রাক্তন ছেলে বন্ধুর) উত্যক্ত এবং অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করার ইতিহাস ছিল - এসব সতর্কবার্তা আগেই ছিল।\" \"এই আটটি ধাপ সম্পর্কে পুলিশ যদি জানতো, তাহলে তারা অনুধাবন করতে পারতো - ক্রমাগত মেসেজ পাঠানো, মানসিকভাবে জিম্মি করাসহ নানা ধরণের বিষয়। এটা পরিষ্কার যে সে তখন পাঁচ নম্বর স্তরে ছিল,\" বলছিলেন মি: ক্লাইভ। \" আমরা বিশ্বাস করি যে এই মডেল সম্পর্কে যদি সবাই জানে এবং সেটি অনুযায়ী কাজ করে তাহলে এটি পরিস্থিতি উন্নতি ঘটাবে এবং জীবন রক্ষা করবে।\" মঙ্কটন স্মিথ মনে করেন তার আবিষ্কৃত আটটি ধাপ পর্যবেক্ষন করলে হত্যাকাণ্ড কমানো যাবে। মিজ স্মিথ তাঁর মডেল সম্পর্কে ব্রিটেনের আইনজীবী, মনোবিজ্ঞানী এবং পুলিশকে শিখিয়েছেন। তার এই গবেষণা নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। \"তারা যখন এটি দেখবে, তখন তারা বলবে, ' আমি তৃতীয় স্তরের একটি ঘটনা পেয়েছে।' অথবা 'আমার সম্পর্ক পাঁচ নম্বর স্তরে পৌঁছে গেছে',\" বলছিলেন মিজ স্মিথ। তিনি বলেন, পুলিশ এই নতুন গবেষণাটিকে বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। মিজ স্মিথ জানান, পুলিশ যদি একবার আটটি ধাপ সম্পর্কে জানে তাহলে তারা সম্ভাব্য হামলাকারী সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখতে পারবে। এছাড়া ভিকটিমরাও বুঝতে পারবে যে তারা কোন অবস্থার মধ্যে আছে এবং সে বিষয়টি অন্যদের জানাতে পারবে। তিনি বলেন, ভিকটিম কিভাবে একটি কর্তৃত্ব-পরায়ণ সম্পর্ক থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারে সে সম্পর্কে আরো গবেষণা করার প্রয়োজন আছে। এছাড়া একটি গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষ কেন কর্তৃত্ব-পরায়ণ হয়ে উঠে এ বিষয়টিও আরো গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনতে হবে।", "doc2": "Selon un expert en criminologie, les hommes qui tuent leur partenaire suivent un \" calendrier d'homicides\" que la police pourrait suivre pour aider à prévenir les décès. Le Dr Jane Monckton Smith a trouvé un schéma en huit étapes dans 372 meurtres au Royaume-Uni. La professeure à l'Université du Gloucestershire a déclaré que les comportements de ces hommes pourraient être un indicateur clé de la propension d'une personne à tuer son partenaire. Le père d'une victime de meurtre a déclaré que les résultats pourraient aider à \"sauver des vies\". Lire aussi : Pourquoi les Russes se maquillent-elles avec du sang? Comment les tâches domestiques ont transformé un homme violent Selon le Dr Monckton Smith, les femmes représentent plus de 80 % des victimes tuées par leur partenaire - et la plupart du temps, le partenaire est un homme. Pour mener son étude, elle a examiné tous les cas enregistrés où la femme avait eu une relation avec l'agresseur - ainsi que plusieurs cas supplémentaires, comme ceux de victimes masculines tuées par leur partenaire masculin. Les huit étapes qu'elle a découvertes dans presque tous les meurtres étaient : Le seul cas où une étape du modèle n'a pas été suivie est celui où les hommes n'ont pas atteint la première étape - mais c'était normalement parce qu'ils n'avaient jamais eu de relation auparavant, dit-elle. Nous nous appuyons depuis toujours sur l'explication \" crime passionnel, brouillard rouge spontané \"[du meurtre] - et ce n'est tout simplement pas vrai \", a déclaré le Dr Monckton Smith à la BBC. \"Si vous commencez à examiner tous ces cas, il y a la planification, la détermination, le contrôle coercitif.\" Alice Ruggles a été assassinée par son ex-petit ami en 2016. En réponse à l'étude, le père d'une femme assassinée, Alice Ruggles, 24 ans, a déclaré que les choses auraient pu être différentes si la police avait eu connaissance du modèle en huit étapes du Dr Monckton Smith. Alice Ruggles avait été harcelée par son ex-petit ami après la fin de leur relation intense, et tuée par lui en octobre 2016. A écouter : \"Une application qui permet aux femmes victimes de violences de savoir où trouver de l’aid Le père, Clive Ruggles, a dit : \"Il [l'ex-petit ami] avait des antécédents de harcèlement et de contrôle - les signes précurseurs étaient là\". \"Si [la police] avait été au courant des huit étapes, ils se seraient rendu compte - les messages constants, le chantage émotionnel, tout cela - qu'il était déjà à l'étape cinq,\" a-t-il ajouté. \"Nous croyons vraiment que si ce modèle est diffusé et que les gens commencent à agir, il améliorera les choses et sauvera très probablement des vies.\" Le Dr Monckton Smith a dit qu'elle pense que son modèle de chronologie des homicides peut prévenir les meurtres Le Dr Monckton Smith a enseigné son modèle à des avocats, des psychologues, des forces de police du Royaume-Uni et des agents de probation. Son étude a également été publiée dans le Violence Against Women Journal, et elle espère qu'elle sera plus largement diffusée. Dès qu'elles le voient, les victimes et les professionnels sont capables de dire : \" Oh mon Dieu, j'ai un cas de stade trois \", ou \" Ma relation en est à la cinquième étape \", a-t-elle dit. \"La police a été incroyablement réceptive et reconnaît les étapes dans les cas sur lesquels elle travaille, parce que cela fait écho à l'expérience des policiers et donne un semblant d'ordre au chaos que sont la violence domestique, le contrôle coercitif et le harcèlement criminel,\" a-t-elle ajouté. Lire aussi : ''Pas de sexe sans combat\" - s'attaquer au machisme en RDC Violences conjugales en pays post conflit Le Dr Monckton Smith a déclaré qu'une fois que les policiers auront appris les huit étapes, ils seront en mesure de suivre certains auteurs potentiels, tandis que les victimes pourront plus facilement expliquer aux professionnels dans quelle situation elles se trouvent. Elle a également déclaré qu'il faudrait mener davantage de recherches sur les moyens par lesquels les victimes peuvent quitter des relations dominantes en toute sécurité et sur ce qui pousse les gens à chercher à contrôler leur partenaires."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50141175", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50130376", "doc1": "কুহু দাস (বাঁয়ে দাঁড়ানো) এবং জিজা ঘোষ (বসা) অন্যদের সাথে পোলিওর কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া কুহু দাস জানান, তাকে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তার ক্যালিপার বা কাঠের পা খুলে স্ক্যানার মেশিনে দিতে বলা হয়। মিজ দাস একজন মহিলা নিরাপত্তা কর্মীকে বলেন, তার পক্ষে ট্রাউজার না খুলে ক্যালিপার খোলা সম্ভব নয়। কিন্তু তার পরও তাকে তা করতে বলা হয়। জিজা ঘোষ নামে আরেক জন অধিকারকর্মীকে - যিনি সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত - বলা হয় যে তিনি একজন সঙ্গী ছাড়া বিমানভ্রমণ করতে পারবেন না। প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার সংক্রান্ত একটি সভায় যোগ দিতে তারা দিল্লি যাচ্ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের আচরণের প্রতিবাদ করার পর তাদের দু'জনকে যেতে দেয়া হয়, তবে তারা জানান, তারা \"অপমান এবং বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন।\" মিজ দাস বলেন, তিন বছর বয়সে তার পোলিও হয় এবং বহু বছর ধরেই তিনি টিটানিয়াম রড দিয়ে তৈরি ক্যালিপার ব্যবহার করছেন। এর আগে ভারতের বাইরে কোন বিমানবন্দরে তাকে এমন অবস্থায় পড়তে হয় নি। আরো পড়তে পারেন: প্রতিবন্ধী মেয়েদের জীবন কতটা চ্যালেঞ্জের? বিমানে প্রতিবন্ধী যাত্রী বিতর্ক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কতোটা সহায়ক ঢাকার রাস্তা? তিনি বলেন, \"প্রতিবার ক্যালিপার খুলতে বলাটা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়- কারণ এর অর্থ হচ্ছে আমাকে ট্রাউজার খুলতে বলা। \" তিনি আরো জানান, গোএয়ার নামে বেসরকারি বিমানসংস্থাটি তার সহযাত্রী জিজা ঘোষকে - যিনি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন - বলে যে তিনি একা বিমানে যেতে পারবেন না। মিজ দাস বলেন, জিজা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যে নিজে নিজে পৃথিবীর নানা জায়গায় গেছে। সে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছে। আমরা একে বৈষম্যমূলক বলে প্রতিবাদ করার পর চেকইন কাউন্টারের লোকটি দু:খপ্রকাশ করে। কিন্তু আমি তার ওপর রাগ করছি না। একটি বিমানসংস্থা প্রতিবন্ধীদের সাথে কী আচরণ করছে সেটাই আসল ব্যাপার। কোলকাতা বিমানবন্দরের দু:খপ্রকাশ এ ঘটনার খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে বেরুনোর পর কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক টুইটার বার্তায় দু:খ প্রকাশ করে। ভারতে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি, কিন্তু দেশটিতে তাদের সহায়তার অবকাঠামো অত্যন্ত নগণ্য। অধিকারকর্মীরা বলেন তারা প্রতিনিয়ত বিরূপ মনোভাব, বৈষম্য, ও হয়রানির শিকার হন। ভারতের কর্তৃপক্ষ দু'বছর আগে বলেছিল যে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তাদের কৃত্রিম পা খুলতে হবে না। কিন্তু সে ���ির্দেশ দৃশ্যত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পৌঁছে নি। দু'বছর আগে একজন নারী প্যারা এ্যাথলেটকে ট্রেনের মেঝেতে ঘুমাতে হয়, কারণ তাকে নিয়ম লংঘন করে ওপরের বার্থ দেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন এমন একজন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় উঠে দাঁড়াতে পারেন নি বলে তাকে আক্রমণ করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ভোলায় হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ - পাপন ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে জাপানের সম্রাটের যে তিন সম্পদ কেউ দেখতে পায় না নকল ঠেকাতে মাথায় বাক্স পরে কলেজে পরীক্ষা", "doc2": "Les militantes des droits des personnes handicapées Kuhu Das (debout à gauche) et Jeeja Ghosh (assise) ont déclaré qu'elles se sentaient \"insultées et humiliées\" à l'aéroport de Kolkata. Kuhu Das, survivante de la polio, a reçu l'ordre d'enlever ses prothèses même lorsqu'elle a dit à une agente de sécurité qu'elle ne pouvait le faire sans enlever son pantalon. Jeeja Ghosh, la deuxième militante atteinte de paralysie cérébrale, s'est fait dire qu'elle ne pouvait prendre l'avion sans être accompagnée. Elles se rendaient à Delhi pour une réunion sur les droits des femmes handicapées. Après leurs protestations, elles ont été autorisées à voyager, mais les militantes ont déclaré qu'elles se sentaient \"insultées et humiliées\". Mme Das, qui a eu la polio à l'âge de trois ans, a déclaré à la BBC qu'elle portait depuis de nombreuses années des prothèses avec des tiges en titane. Lire aussi : Dimanche après-midi, alors qu'elle se rendait à l'aéroport, un agent de police lui a demandé d'enlever ses prothèses pour qu'on puisse les mettre dans le scanner. \"Quand j'ai refusé, elle a appelé un autre agent et juste devant moi, elle a dit à son collègue qu'elle n'avait jamais vu quelqu'un comme moi auparavant. C'était comme si j'étais venu d'une autre planète. N'est-ce pas un manque total de considération ?\" Mme Das a déclaré qu'elle n'avait jamais été confrontée à un tel problème dans les aéroports en dehors de l'Inde. A regarder : “C’est ma famille qui m’a permis de prendre confiance en moi depuis tout petit” - Christophe Gomis \"Il est inacceptable qu'à chaque fois en Inde, ils veulent que j'enlève mes prothèses, ce qui signifie en fait qu'ils me demandent d'enlever mon pantalon \", a-t-elle dit. Elle a déclaré que le personnel de GoAir, la compagnie aérienne privée sur laquelle elle voulait voyager, avait dit à sa collègue en fauteuil roulant Jeeja Ghosh qu'elle ne pouvait pas prendre l'avion seule. A écouter : La difficile journée d'un handicapé en Côte d'ivoire \"Jeeja est une adulte\" qui voyage seule dans le monde entier et se sent \"très insultée\" par la compagnie aérienne, a déclaré Mme Das. \"Nous avons protesté, nous avons dit que c'était discriminatoire, alors la personne au comptoir d'enregistrement s'est excusée. Mais nous ne sommes pas en colère contre elle. Ce n'est pas un problème individuel. C'est la façon dont une compagnie aérienne traite une personne handicapée \", a-t-elle ajouté. Après que la nouvelle de leur calvaire ait été couverte par la presse indienne, les autorités de l'aéroport de Kolkata ont tweeté lundi des excuses aux deux militantes. Il y a deux ans, les autorités ont déclaré que les passagers handicapés n'auraient plus à retirer leurs prothèses pour le contrôle dans les aéroports, mais deux ans plus tard, il semble que l'ordre n'ait pas encore été donné aux policiers chargés de la sécurité. L'Inde compte plus de 26 millions de personnes souffrant de handicaps physiques ou d'apprentissage, mais il y a peu d'infrastructures pour les soutenir dans leur vie quotidienne. Les militantes affirment que les personnes handicapées sont aussi régulièrement confrontées à la stigmatisation, à la discrimination et au harcèlement. Il y a deux ans, une para-athlète féminine a été obligée de dormir sur le plancher d'un train parce qu'on lui avait attribué une couchette supérieure en violation des règles. En 2016, un activiste handicapé, qui utilise un fauteuil roulant, a été agressé en Inde pour ne pas s'être levé pendant l'hymne national joué dans un cinéma."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50646715", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50602995", "doc1": "গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে সাম্প্রতিক এক বিমান দুর্ঘটনার চিত্র। এরকম একটি দেশ হচ্ছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা ডিআরসি। সম্প্রতি এই দেশটিতে দুটো দুর্ঘটনার পর বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে বড় রকমের প্রশ্ন উঠেছে। সবশেষ দুর্ঘটনাটি হয়েছে নভেম্বরে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায়। বিমানটি একটি বাড়ির উপরে আছড়ে পড়লে ২৭ জন প্রাণ হারান। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে বিমান চলাচলের উপর নজর রাখে এবং এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। তাদের তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, ১৯৪৫ সালের পর আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে। নর্থ ড্যাকোটা ইউনিভার্সিটির ড্যানিয়েল কাওয়াসি আদজেকুম বলছেন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রচুর দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে নানা কারণ - ভৌগলিক ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দুর্বলতা। একই সাথে এই দেশটিতে বিমানে চলাচল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,কারণ রাজধানী কিনশাসা থেকে দেশটির ২৫টি বড় বড় শহরের মাত্র চারটি ছাড়া আর কোনটিতেই সড়ক পথে যাওয়া যায় না। দেশটির বিমান বন্দরের অবকাঠামো খুবই সেকেলে ও ভগ্নপ্রায়, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্যে যে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি আছে - সেসবও কোন রকমে কাজ চালানোর মতো। এছাড়াও যেসব বিমান ব্যবহার করা হয় সেগুলোও বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায়, কিম্বা বহু বছরের পুরনো। ফ্লাইট ক্রু এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে যারা কাজ করেন - তাদের নিয়েও সমস্যা আছে। তাদের ওপর নজরদারি করার মতো তেমন শক্ত কোন ব্যবস্থা নেই। আর কিছু কিছু দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী খারাপ আবহাওয়া - প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়-বাদল। বর্ষাকালে বিমান চলাচলের জন্যে এসবও বড়ো হুমকি হয়ে ওঠে। চলছে উদ্ধার কাজ। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয় কোথায় ২০১০ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরেই রাশিয়া, ক্যানাডা, মেক্সিকো এবং ইন্দোনেশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে যেসব রুট ব্যবহৃত হয়, বিশ্বের মধ্যে সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। এই পথে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমান চলাচল করে আর একারণে সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে বেশি। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বে���ি প্রাণহানি ঘটেছে রাশিয়াতে, ৫৩২। তারপরেই ইন্দোনেশিয়া, যেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫২০ জন। এই দুটো দেশে বিমান যাত্রীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের সংখ্যাও। গত ১০ বছরে রাশিয়াতে বিমান-যাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে আর ইন্দোনেশিয়াতে বেড়েছে চার গুণ। এই একই সময়ে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে দুর্ঘটনায় যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, একই সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে নেপালেও। এই দুটো দেশেই এই ১০ বছরে ১৮০ জনের মতো নিহত হয়েছে। নেপালেও বিমান দুর্ঘটনার জন্যে এর ভূ-প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করা হয়। বিমান বন্দর এমন একটি জায়গায় যেখানে পাহাড় কাটিয়ে রানওয়েতে অবতরণ করা অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও দুর্বলতা আছে নেপালে। এসব স্বত্বেও দেশটিতে বিমান-যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যাত্রীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে। ডিআরসির চাইতেও নেপালে যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যা তিনগুণ বেশি। সারা বিশ্বে যতো বিমান চলাচল করে তার মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ বিমান চলে ডিআরসিতে। অর্থাৎ বিশ্বে এক হাজার বিমান থাকলে এই দেশে বিমান আছে মাত্র একটি। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে মোট বিমান দুর্ঘটনার চার শতাংশই ঘটেছে এই দেশে। একারণে এই দেশটির বিমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশেই আসা নিষিদ্ধ কিম্বা সীমিত। নেপাল বিমান দুর্ঘটনাঃ যে ক্ষত এখনো শুকায়নি আরো পড়তে পারেন: পাখির ধাক্কায় ভুট্টা ক্ষেতে রুশ বিমান উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে রানওয়ে চিহ্নিত করে বিমান অবতরণ করালো অটোপাইলট আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও বিমান চলাচল খুব একটা নিরাপদ নয়। আফ্রিকার আরো ১৩টি দেশ ছাড়াও এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশের বিমানও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওঠা-নামার ব্যাপারে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। ডিআরসির জন্যে সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল ২০০৭। ওই এক বছরেই আটটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেসময় আন্তনভের একটি বিমান রাজধানী কিনশাসায় রানওয়ে থেকে বাইরে ছুটে গিয়ে একটি বাজারের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় ২৩৭ জন নিহত হয়। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার ৪৪ শতাংশ মানুষ ভুগছে বিষণ্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মাদক পরীক্ষার চিন্তা কেন? ভিন্নরকম হওয়ায় এই মানুষগুলোর যত হেনস্থা", "doc2": "Les récents accidents en RDC ont mis en lumière des problèmes de sécurité. Deux accidents récents en République démocratique du Congo ont soulevé des inquiétudes quant à la sécurité aérienne dans ce pays. Lire aussi : Vingt-sept morts dans un crash d'avion en RDC Crash au Kasaï : cinq morts Le plus récent a eu lieu le 24 novembre dernier. Un avion s'est écrasé dans des maisons de la ville de Goma, dans l'est du pays, tuant 27 personnes. Mais à quel point est-il dangereux de voler en RDC ? Quelle conclusion peut-on tirer de la comparaison des accidents aériens de ce pays avec ceux des autres parties du monde ? Quel est le niveau de sécurité de la RDC? Les données du Réseau de la sécurité aérienne, qui surveille et rassemble des informations sur l'aviation, montrent que la RDC a connu le plus grand nombre d'accidents d'avion en Afrique depuis 1945. Des secouristes tentent de sauver des personnes victimes d'un accident d'avion à Goma. Daniel Kwasi Adjekum, de l'Université du Dakota du Nord, affirme que le taux élevé d'accidents en RDC peut être attribué à divers facteurs, dont la grande taille du pays, son terrain et sa faible réglementation. Le transport aérien est important parce que seulement quatre des 25 autres capitales provinciales du pays sont accessibles par des routes fiables à partir de la capitale, Kinshasa. Mais la République démocratique du Congo a des infrastructures aéroportuaires, des équipements de navigation et de surveillance du trafic en mauvais état. Les réglementations techniques et de sécurité sont également faibles dans le pays. Lire aussi : Crash de l'avion-cargo de Tshisekedi: quatre corps retrouvés Crash de l'avion transportant le matériel roulant de Félix Tshisekedi L'utilisation d'avions obsolètes ou vieillissants est l'une des causes des accidents aériens. Il y a aussi des problèmes avec le personnel naviguant et le personnel de maintenance, qui manquent souvent de supervision et de normes réglementaires strictes à respecter. Et certains accidents sont dus à des facteurs tels que le mauvais temps, les fortes pluies et les tempêtes pendant la saison des pluies, puisque la RDC se trouve dans la ceinture tropicale. Quel pays détient le record d'accidents aériens au monde ? Les États-Unis ont connu le plus grand nombre d'accidents aériens depuis 2010. La Russie, le Canada, le Mexique et l'Indonésie suivent part ordre croissant. Les Etats-Unis ont connu le plus d'accidents d'avions dans le monde. Mais les États-Unis détiennent quelques-unes des liaisons aériennes commerciales les plus achalandées au monde, et le volume élevé du trafic aérien les rendrait plus vulnérables aux risques et à d'éventuelles failles de sécurité. La Russie compte le plus grand nombre de morts, 532, depuis 2010, l'Indonésie suit, avec 520 morts. La Russie compte le plus grand nombre de morts, 532, depuis 2010. Elle est suivie de l'Indonésie, avec 520 morts. Ces deux pays ont d'importantes opérations aériennes commerciales et le nombre de passagers a fortement augmenté au cours de la dernière décennie. En Russie, le nombre de passagers a presque triplé depuis 2009. En Indonésie, il a plus que quadruplé. Lire aussi : 13 soldats français tués dans un crash au Mali Le nombre de morts en République démocratique du Congo est similaire à celui du Népal, qui a aussi un terrain difficile, des problèmes de réglementation et de sécurité aérienne, et un nombre croissant de personnes qui prennent l'avion. Le piètre bilan de la RDC en matière de sécurité aérienne signifie qu'elle fait partie des pays dont les compagnies aériennes sont interdites ou soumises à des restrictions au sein de l'Union européenne. Mais ce n'est pas le seul pays africain sur cette liste. Cet avion a manqué une piste d'atterrissage en RDC en 2015 et causé des pertes en vie humaine. La liste comprend 13 autres pays africains, ainsi que certains pays d'Asie et d'Amérique latine. En République démocratique du Congo, 2007 a été la pire année pour les accidents aériens. Huit crashs en une seule année. Mais l'accident le plus meurtrier du pays a eu lieu en 1996, lorsqu'un avion de transport Antonov a manqué la piste de Kinshasa et s'est écrasé sur un marché, tuant 237 personnes. BBC Reality Check se consacre à l'examen des faits et des affirmations à l'origine d'une histoire, pour tenter de déterminer si elle est vraie ou non."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51672499", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51674573", "doc1": "একজন এমপি জাপান থেকে ফেরার পর পুরো থাইল্যান্ড পার্লামেন্ট জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে বড় শহরগুলোতে যেখানে বহু মানুষের কাজ আর বসবাস - সেখানে এখন এই মহামারিই বড় উদ্বেগের কারণ। এগুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এখানে দেখুন বিশ্বজুড়ে নানা শহরে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: গণ পরিবহনও ভাইরাস ছড়ানোর আরেকটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র গণ পরিবহন ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলা গণপরিবহন। থুথু, কফ বা সর্দি - এসবের মধ্যে দিয়েই ভাইরাস প্রধানত ছড়ায়। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় চালানো এক সমীক্ষা বলছে, ফ্লু'র সময়ে যারা গণপরিবহন ব্যবহার করে তাদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের সম্ভাবনা ছয় গুণ বেশি। আর এসব কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইটালি কিংবা ইরান পর্যন্ত সব দেশই ট্রেন ও বাস স্টেশনগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে? করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা জাপানে বড় জমায়েতে না আসতে বলা হচ্ছে বড় জমায়েত যেসব ইভেন্টে অনেক মানুষ জমায়েত হয় - যেমন খেলার মাঠ - এগুলো হলো ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্য ক্ষেত্র এবং এমন অনেক জায়গা ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে অনেকে। মহামারির কারণে সাংহাইতে চাইনিজ ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি স্থগিত করা হয়েছে। ষষ্ঠ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগও বিলম্বিত হচ্ছে। ইউরোপে রাগবি ও ফুটবলের যেসব প্রতিযোগিতায় ইটালির অংশগ্রহণ আছে - সেগুলো স্থগিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন অলিম্পিকে, যেটি টোকিওতে শুরু হওয়ার কথা আগামী ২৪শে জুলাই। ইতোমধ্যেই টর্চ রিলের আকার ছোট করা হয়েছে এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে এবারের অলিম্পিক স্থগিত করে দেয়ার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়নি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। খেলাধুলার বাইরে বেশ কিছু ধর্মীয় জমায়েতেও নানা বিধি নিষেধ আসছে। সৌদি আরব ইতোমধ্যেই বিদেশীদের জন্য ওমরাহ বন্ধ করেছে। বন্ধ করা হয়েছে মক্কা ও মদিনায় ভ্রমণও। কয়েকটি শহরে লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে স্কুল বিভিন্ন দেশের সরকার থেকে স্কুলগুলোকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দে��়া হয়েছে। জাপান, থাইল্যান্ড, ইরান ও ইরাক - স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্কুল বন্ধ করতে বলে নি। তবে ইংল্যান্ডের চারটি স্কুল ইটালিতে একটি স্কিইং ট্রিপ থেকে কয়েকজন ফিরে আসার প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর জন্য ক্লাস বাতিল করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত দেশগুলোতে যে অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে সম্প্রতি ভ্রমণে গেছেন - তাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাদের সন্তানদের আপাতত স্কুলে না পাঠানোর কথা বলেছে। অনেক জায়গায় কর্মীদের বাড়িতে থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে অফিস বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। সান ডিয়েগো ও সান ফ্রানসিসকোতে জনস্বার্থ বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং কর্মীদের কারখানায় বাইরে থেকে আসা কারও সাথে হ্যান্ডশেক না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফেসবুক মার্চে হওয়ার কথা তার একটি বার্ষিক মার্কেটিং কনফারেন্স বাতিল করেছে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার সিকিউরিটি কনফারেন্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে অনেক স্পন্সরসহ নানা প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র লোকজনকে ফোন বা অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে - বিশেষ করে যদি কারও গায়ের তাপমাত্রা বেশি মনে হয়। ফেস মাস্ক ব্যবহার করছে অনেকেই জনসচেতনতা জনসচেতনতা বাড়ানো এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেমন হাত ধোয়া - যা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, সেগুলো হলো: ১. নিয়মিত হাত ধুতে হবে ২. মুখ ও নাক ঢেকে রাখা ৩. রেসপিরেটারি সমস্যায় আক্রান্তদের কাছ থেকে দুরে থাকা ৪. বন্য প্রাণী বা খামারে থাকা প্রাণীর কাছে সুরক্ষা ছাড়া না যাওয়া হাসপাতাল যেহেতু করোনাভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি - তাই হাসপাতালগুলো চেষ্টা করছে কিভাবে লক্ষণগুলো কমানো যায়। রোগীদের আলাদা কক্ষে রাখা ও কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ধারণা করছে ভাইরাস আরও ব্যাপকভাবে ছড়ালে জরুরি রোগীদের গুরুত্ব দেয়া হবে বেশি ও বাকীদের জন্য ফোনে পরামর্শ দেয়া হবে। আইসোলেশন/ কোয়ারেন্টিন যুক্তরাজ্যে যারা আক্রান্ত এলাকা ভ্রমণ করে এসেছে তাদের স্ব-উদ্যোগে কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে। চীনের উহান - যেখান থেকে মহামারী শুরু - সেই শহরটিই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। একই ব্যবস্থা নিয়েছ ইটালি। ভ্রমণকারীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তে বা বিমানবব্দরে তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এসব পদক্ষেপ কাজ হবে কমই। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, শহর বিচ্ছিন্ন করে দিলে পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা আছে। এতে ব্যাহত হতে পারে জরুরি খাদ্য ও ঔষধ ডেলিভারির মতো কাজও। কেউ কেউ বরং পরামর্শ দিচ্ছেন রোগীদের সামলায় এমন ডাক্তার-নার্স ও অন্য কর্মীদের আলাদা করে রাখার।", "doc2": "Le Parlement thaïlandais désinfecté après qu'un député (Cholnan Srikaew) ait révélé qu'il venait de rentrer d'un voyage au Japon Dans les grandes villes où les gens vivent et travaillent côte à côte, la perspective d'une épidémie est une véritable source d'inquiétude. Voici quelques-uns des défis à relever - et un aperçu de la manière dont les villes du monde entier ont réagi jusqu'à présent. Les transports publics Les virus peuvent se propager via des surfaces communes dans les transports publics - un bus en Iran est illustré Les systèmes de transport public créent un environnement parfait pour la transmission des virus. On pense que les virus se propagent principalement lorsque des gouttelettes de liquide corporel atterrissent sur des surfaces communes après qu'une personne a toussé ou éternué. Des études analysant les saisons de la grippe ont suggéré que les personnes utilisant les transports publics pendant les épidémies de grippe avaient jusqu'à six fois plus de chances de contracter une infection respiratoire aiguë. C'est pourquoi les autorités, de la Corée du Sud à l'Italie et à l'Iran, ont ordonné le nettoyage en masse des surfaces à l'intérieur des trains, des bus et des gares. Les grandes foules Le Japon demande aux gens d'éviter les grandes foules comme celles qui assistent aux matchs de football Les événements qui attirent de grandes foules, tels que les rencontres sportives, sont des lieux évidents de contagion potentielle, et ils sont déjà touchés par le coronavirus. L'épidémie a entraîné le report du Grand Prix de Formule 1 de Chine à Shanghai. Six matchs de la Ligue des champions asiatique ont également été retardés, affectant quatre équipes iraniennes. En Europe, des matchs de rugby et de football auxquels participaient des équipes italiennes ont été suspendus. Mais la plus grande perturbation du calendrier sportif mondial pourrait être les Jeux olympiques de Tokyo, qui doivent commencer le 24 juillet. Jusqu'à présent, seul le relais de la torche avant les jeux a été réduit, mais le Comité international olympique n'a pas exclu d'annuler les jeux si le coronavirus se transforme en une grave pandémie. Outre le sport, les manifestations religieuses font également l'objet de restrictions. L'Arabie saoudite a annoncé qu'elle suspendait l'entrée des pèlerins étrangers dans les villes saintes de La Mecque et de Médine. Les écoles Des élèves ont été renvoyés chez eux dans des pays tels que la Thaïlande (photo), l'Iran, l'Irak, l'Italie et le Royaume-Uni De plus en plus, les gouvernements conseillent aux écoles de mettre en place des plans pour lutter contre le coronavirus. Dans des pays tels que le Japon, la Thaïlande, l'Iran et l'Irak, des écoles et des universités ont été fermées temporairement pour faire face à l'épidémie. Le Royaume-Uni et les États-Unis ne conseillent pas de fermeture, mais quatre écoles en Angleterre ont annulé toutes les classes pour un \"nettoyage en profondeur\" après le retour des élèves de voyages de ski en Italie. Il est conseillé aux parents qui ont récemment voyagé avec leurs enfants dans les zones les plus touchées - notamment en Iran, en Chine, à Hong Kong, en Corée du Sud, en Asie du Sud-Est et en Italie du Nord - de rester à l'intérieur et de ne pas envoyer leurs enfants à l'école. Les bureaux Certains pays disent aux employeurs d'encourager le travail à domicile Le coronavirus affecte les pratiques commerciales dans certains des plus importants centres technologiques du monde. À San Diego et San Francisco, qui ont toutes deux déclaré l'état d'urgence, il est conseillé aux employés de ne pas serrer la main des visiteurs de leur entreprise. Facebook a annulé une conférence annuelle de marketing prévue pour le mois de mars, et un certain nombre de sponsors et d'exposants importants se sont retirés de l'une des plus grandes conférences mondiales sur la cybersécurité qui se tient à San Francisco. Les Centers for Disease Control and Prevention (CDC) des États-Unis ont publié des lignes directrices recommandant aux employeurs d'encourager le télétravail ou le travail à domicile, en particulier s'ils ont de la fièvre ou des symptômes de problèmes respiratoires. La sensibilisation du public La sensibilisation du public à l'importance des mesures, comme le lavage des mains, est un élément clé de la lutte contre la transmission du coronavirus, affirment les responsables de la santé américaine. Selon l'Organisation mondiale de la santé (OMS), afin de prévenir la propagation du coronavirus, tout le monde devrait : Les hôpitaux Comme il n'existe aucun traitement ou remède pour le nouveau coronavirus, les hôpitaux tentent de soulager les symptômes. Il est conseillé de mettre les patients en isolement et de veiller à ce que le personnel porte des vêtements de protection lorsqu'il traite des cas potentiels. Les autorités américaines et britanniques prévoient qu'en cas d'épidémie massive, les hôpitaux pourraient retarder les procédures non urgentes et augmenter les consultations téléphoniques. On s'inquiète de la manière dont certains hôpitaux feront face à une augmentation du nombre de patients, alors que leurs services sont déjà surchargés. A lire aussi sur BBC Afrique: Les mesures d'isolement Au Royaume-Uni, les personnes en provenance des zones touchées sont invitées à se mettre en quarantaine. La ville chinoise de Wuhan, l'épicentre de l'épidémie actuelle, reste isolée, tout comme les villes les plus touchées du nord de l'Italie. Les voyageurs en provenance des zones touchées sont soumis à des contrôles à leur entrée dans les pays - ici près de la ville irakienne de Bassora Mais les experts affirment qu'à mesure que le virus se répandra dans le monde, ces restrictions deviendront moins efficaces. Elles sont également difficiles à reproduire ailleurs. \"Peu de pays, voire aucun, ne pourrait verrouiller des villes sur le plan logistique comme l'a fait la Chine\", a déclaré Tom Inglesby, le directeur du Centre Johns Hopkins pour la sécurité sanitaire, sur Twitter. Selon le fonctionnaire américain, \"les verrouillages risqueraient de couper les familles les unes des autres, d'interrompre la livraison de médicaments aux gens, de perturber la livraison de nourriture et de fournitures de base\". \"Ils pourraient bloquer le mouvement des médecins, des infirmières et des fournitures médicales vers les hôpitaux, comme cela a été signalé en Chine\". a déclaré Tom Inglesby."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54013894", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54003516", "doc1": "কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় দুর্নীতি বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি মি. নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক। গত মাসে রাশিয়ার সাইবেরিয়া এলাকা থেকে বিমানে যাত্রার সময় ফ্লাইটের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে বিমানে করে বার্লিনে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এরপর থেকে তিনি কোমায় আছেন। নভিচকের নাম শেষবার খবরে এসেছিল ২০১৮ সালে। তখন ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে রাশিয়ার সাবেক এক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নভিচক বিষ প্রয়োগ করে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মি. নাভালনি এবং এর আগে মি. স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের বিষক্রিয়ায় তাদের কোনরকম ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে। ৬৬ বছর বয়সী সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ৩৩ বছরের ইউলিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজনেই পরে স��রে ওঠেন। নভিচক সামরিক মানের স্নায়ুর ক্ষতিসাধনকারী বিষগুলোর মধ্যে একটি। আমরা কতটুকু জানি এই বিষ সম্পর্কে? এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে রুশ ভাষায় নভিচক নামের মানে ''নবাগত''। ১৯৭০ এবং ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন উচ্চ ক্ষমতার স্নায়ুর ক্ষতিকারক যেসব রাসায়নিক বিষ তৈরি করেছিল এই নভিচক সেই দলে পড়ে। এধরনের বিষ চতুর্থ স্তরের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে পরিচিত এবং 'ফোলিয়েন্ট' এই সাংকেতিক নামের এক সোভিয়েত কর্মসূচির আওতায় এটি তৈরি করা হয়। ড. ভিল মির্জায়ানফ নামে একজন রসায়নবিদ ১৯৯০এর দশকে রুশ সংবাদমাধ্যমে এই নভিচকের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। পরে তিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে প্রকাশ করা 'স্টেট সিক্রেটস' (রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য) নামে তার বইয়ে তিনি নভিচকের রাসায়নিক ফর্মূলা ফাঁস করেন। আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ১৯৯৯ সালে উজবেকিস্তানে যান সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম সর্ববৃহৎ রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ভেঙে ফেলার এবং সেটিকে বিষমুক্ত করার লক্ষ্যে। ড. মির্জায়ানফ জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নভিচক সীমিতভাবে উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করতো। এই রাসায়নিক বিষ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এর উপস্থিতি ধরতে না পারেন। এই গোষ্ঠীভুক্ত রাসায়নিক বিষগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক। ভিএক্স নার্ভএজেন্ট নামে এই জাতের অন্য যেসব রাসায়নিক বিষ রয়েছে, তার থেকে পাঁচ বা আটগুণ বেশি ক্ষতিকারক এই নভিচক বিষ। ''সারিন গ্যাস বা ভিএক্স-এর মত রাসায়নিক বিষের চেয়েও বেশি বিপদজনক এবং বেশি উন্নত মানের বিষ এই নভিচক এবং এটি শনাক্ত করা অনেক বেশি কঠিন,'' বলছেন ব্রিটেনের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গ্যারি স্টিফেন্স। নভিচক বিষের প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়? নভিচকের বিষক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হয় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত রয়েছে। ড. ভিল মির্জায়ানফ বলছেন, এটা অনেক মাস ধরে স্থায়ী হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির উগলেফ, যিনি দাবি করেন স্ক্রিপাল পরিবারকে যে নভিচক বিষ দেয়া হয়েছিল সেটির উদ্ভাবক তিনি, তার মতে এই বিষ \"খুবই স্থিতিশীল''। অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাসায়নিক বিষ টেকসই ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এটির বিষক্��িয়া বেশ কয়েকমাস এমনকী কয়েক বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে যদি এই বিষ কোন পাত্রের ভেতর মজুত রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষমতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। ''স্নায়ুর এই বিষ নভিচক, উবে যায় না। এটি পানির মধ্যেও মিশে যায় না অর্থাৎ পানিতে মিশলেও এর গঠন বদলায় না,'' বলেছেন লন্ডনে ইউনিভার্সিটি কলেজের রসায়নের অধ্যাপক অ্যানড্রিয়া সেলা। একটা সমস্যা হল নভিচক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কম এবং স্নায়ু ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক বিষের চাইতে এই বিষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কম। এছাড়াও এই বিষ কতদিন শরীরে কাজ করে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি 'নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কিম জং নাম-কে' নভিচক দেখতে কেমন? কিছু কিছু নভিচক তরল পদার্থ, আবার নভিচক কঠিন পদার্থ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে নভিচক ব্যবহার করা হয় অতি সূক্ষ্ম পাউডার হিসাবে। কিছু নভিচক এমন ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়, যেখানে বিষটি রাখা হয় দুটি অপেক্ষাকৃত কম বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান হিসাবে। এতে বিষটি মজুত রাখা, পরিবহন করা বা এটি ব্যবহার করার সময় এটা কম বিষাক্ত থাকে, এবং যারা বিষটি নিয়ে কাজ করছে তাদের জন্য এটা ক্ষতিকর হয় না। কিন্তু প্রয়োগ করার পর এর বিষ পুরো মাত্রায় কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে যেখানে সের্গেই ও ইউলিয়া স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেখানে তদন্তের কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষটি প্রয়োগ করা হলে দুটি উপাদান মিশ্রিত হয়ে পুরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ''এধরনের রাসায়নিক বিষ তৈরি করা সহজ, কারণ যেসব উপাদান দিয়ে এটা তৈরি হয় সেসব উপাদান নিষিদ্ধ নয়,'' বলছেন অধ্যাপক স্টিফেনস। কয়েকটি নভিচক খুব দ্রুত কাজ করতে পারে অন্যান্য রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত ও মারাত্মক নভিচক। কাজেই কোন কোন জাতের নভিচক খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে - প্রয়োগের ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিটের মধ্যে। এই বিষ শরীরে কাজ করে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে বা নি:শ্বাসের মাধ্যমে সেটা শরীরে ঢুকলে। চামড়ার মধ্যে দিয়েও এই বিষ শরীরে ঢুকতে পারে। এর উপসর্গ অন্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই নভিচক বিষ কাজ করে অন্যান্য ���্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই। এই বিষ মস্তিষ্ক থেকে শরীরের মাংসপেশীতে বার্তাবাহী স্নায়ুগুলোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন বহু স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ড. মির্জায়ানফ বলেছেন, এই বিষক্রিয়ার প্রথম উপসর্গ হল চোখের মণি ছোট হয়ে চোখে অন্ধকার দেখা। বিষের পরিমাণ বেশি হলে খিঁচুনি হতে পারে এবং নি:শ্বাসের কষ্ট দেখা দিতে পারে, তিনি বলেন। ''এরপরই শুরু হয় ঘন ঘন খিঁচুনি এবং বমি এবং তারপর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।'' গত মাসে সন্দেহভাজন বিষ প্রয়োগের পর থেকে আলেক্সেই নাভালনি কোমায় রয়েছেন। ড. মির্জায়ানফ বলছেন, এই বিষক্রিয়া থামানোর জন্য ওষুধ হিসাবে অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাথিন ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলো ব্যবহার করে রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় না। কেউ যদি এই রাসায়নিক বিষের সংস্পর্শে আসে তার কাপড়চোপড় সব খুলে দিতে হয় এবং সাবান ও পানি দিয়ে তার চামড়া পুরো পরিষ্কার করতে হয়। তার চোখও ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হয় এবং তাকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করতে হয়। আর কেউ নভিচক তৈরি করেছে? ড. মির্জায়ানফ বলছেন, ''রাশিয়া যেহেতু এই নভিচক বিষ উদ্ভাবন করেছে, রাশিয়ারই এই রাসায়নিক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং রাশিয়া এই বিষকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে বিষাক্ত অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া রাশিয়া পুরো আয়ত করেছে।'' জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সোভিয়েত আমলে উদ্ভাবিত এই স্নায়ুর ক্ষতিকারক বিষ তৈরি দেশটি ১৯৯২ সালে বন্ধ করে দিয়েছে, এবং যা মজুত ছিল তার পুরোটাই ২০১৭ সালে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭য় রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ নিশ্চিত করে যে রাশিয়ায় মজুত ৩৯,৯৬৭ টন রাসায়নিক অস্ত্র পুরো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নভিচক রাসায়নিক বিষের কথা কখনও ওই সংস্থাকে সরকারিভাবে জানানো হয়নি। এবং যে রাসায়নিক দিয়ে নভিচক জাতীয় বিষ তৈরি করা হয়েছে তা কখনও নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়নি, কারণ এগুলোর রাসায়নিক গঠনপ্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি, বলেছেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেস্টেয়ার হে।", "doc2": "La chancelière Angela Merkel a déclaré qu'il avait été victime d'une tentative de meurtre et que le monde se tournerait vers la Russie pour obtenir des réponses. M. Navalny a été transporté dans le coma par avion vers Berlin après être tombé malade lors d'un voyage dans la région de la Sibérie russe le mois dernier. Son équipe affirme qu'il a été empoisonné sur ordre du président Vladimir Poutine. Le Kremlin a rejeté cette accusation. Le porte-parole du Kremlin a appelé l'Allemagne à un échange d'informations et la porte-parole du ministère des affaires étrangères, Maria Zakharova, s'est plainte que les accusations au sujet de l'utilisation de Novichok n'étaient pas étayées par des preuves. \"Où sont les faits, où sont les formules, ou toute sorte d'information\", a-t-elle déclaré. Un agent neurotoxique du type Novichok a été utilisé pour empoisonner l'ancien espion russe Sergei Skripal et sa fille au Royaume-Uni en 2018. Alors qu'ils ont survécu, une femme britannique est morte à l'hôpital par la suite. Le Royaume-Uni a accusé les renseignements militaires russes d'avoir perpétré cette attaque. Le Premier ministre Boris Johnson a condamné cette dernière attaque comme étant \"scandaleuse\". \"Le gouvernement russe doit maintenant expliquer ce qui est arrivé à M. Navalny - nous allons travailler avec nos partenaires internationaux pour que justice soit faite\", a-t-il tweeté. Que dit l'Allemagne ? Après la publication par le gouvernement allemand des résultats des tests toxicologiques effectués dans un laboratoire militaire, la chancelière Merkel a déclaré qu'il y avait maintenant \"des questions sérieuses auxquelles seul le gouvernement russe peut et doit répondre\". \"Quelqu'un a essayé de faire taire [M. Navalny] et au nom de l'ensemble du gouvernement allemand, je le condamne dans les termes les plus fermes\", a-t-elle ajouté. La chancelière Merkel a déclaré que les partenaires allemands de l'OTAN et de l'UE avaient été informés des résultats de l'enquête et qu'ils décideraient d'une réponse commune et appropriée en fonction de la réaction de la Russie. L'épouse de M. Navalny, Yulia Navalnaya, et l'ambassadeur de Russie en Allemagne seront également informés des résultats, a déclaré Berlin. Qu'est-il arrivé à M. Navalny ? M. Navalny est tombé malade durant un vol de Tomsk à Moscou. Ses partisans soupçonnent que du poison a été placé dans une tasse de thé à l'aéroport de Tomsk. Le vol du célèbre opposant de Poutine a été détourné vers Omsk, où des médecins l'ont soigné pendant trois jours avant qu'il ne soit transféré à l'hôpital de la Charité à Berlin. Mr Navalny's transfer to Germany came after three days in hospital in Omsk Le Kremlin affirme que les médecins russes ont administré de l'atropine - qui peut être utilisée pour traiter les effets des agents neurotoxiques - mais n'ont trouvé aucune preuve d'empoisonnement. Mme Navalnaya a déclaré qu'elle craignait que les médecins russes n'aient retardé son transfert car les autorités essayaient d'attendre que les preuves de présence d'une substance chimique disparaissent. Les médecins de l'hôpital de la Charité ont déclaré que son état continue de s'améliorer mais qu'il reste aux soins intensifs sous respirateur. Qu'est-ce que le Novichok ? Le nom Novichok signifie \"nouveau venu\" en russe, et s'applique à un groupe d'agents neurotoxiques avancés développés par l'Union soviétique dans les années 1970 et 1980. Les relations Russie-Occident sont détériorées. Les agents Novichok ont des effets similaires à ceux d'autres agents neurotoxiques - ils agissent en bloquant les messages des nerfs vers les muscles, provoquant un effondrement de nombreuses fonctions corporelles. Si certains agents Novichok sont liquides, d'autres existeraient sous forme solide. Cela signifie qu'ils peuvent être dispersés sous forme de poudre ultrafine. Les Novichoks ont été conçus pour être plus toxiques que les autres armes chimiques, c'est pourquoi certaines versions commencent à agir rapidement - de l'ordre de 30 secondes à deux minutes. En 2018, Sergei Skripal et sa fille Yulia sont tombés gravement malades dans la ville britannique de Salisbury, après que des suspects russes auraient étalé l'agent neurotoxique sur la poignée de la porte de la maison de l'ancien espion russe. Lire aussi : Dawn Sturgess, 44 ans, a ensuite été exposée au même agent neurotoxique et est morte à l'hôpital. Son partenaire est tombé gravement malade mais s'est remis. Qui est Navalny ? M. Navalny est un militant anti-corruption qui a organisé des manifestations nationales contre les autorités russes. Il a qualifié le parti de M. Poutine de \"bande d'escrocs et de voleurs\" qui \"aspire le sang de la Russie\". Cependant, il a été interdit de se présenter aux élections contre M. Poutine en raison d'une condamnation pour détournement de fonds. Il nie ce crime, disant que ses ennuis juridiques ne sont que des représailles du Kremlin face à ses critiques féroces. Il y a eu un certain nombre d'attaques contre des personnes critiques ou des opposants au président Poutine, y compris des politiciens, des agents de renseignement et des journalistes. Le Kremlin a toujours nié toute implication. Qui d'autre a été empoisonné ? En 2006, Alexander Litvinenko - un ancien officier de renseignement russe devenu critique du Kremlin et qui s'est enfui au Royaume-Uni - est mort après que son thé a été empoisonné par du polonium 210 radioactif. Plus récemment, le journaliste et militant de l'opposition Vladimir Kara-Murza a affirmé avoir été empoisonné à deux reprises par les services de sécurité russes. Il a failli mourir après avoir souffert d'une insuffisance rénale en 2015 et deux ans plus tard, il est tombé dans le coma pendant une semaine. Un autre critique du Kremlin, Pyotr Verzilov, a accusé les services de renseignements russes de l'avoir empoisonné en 2018, lorsqu'il est tombé malade après une audience au tribunal, perdant ainsi la vue et la capacité de parler. Il a lui aussi été soigné à l'hôpital de la Charité à Berlin, et a demandé à la Fondation du Cinéma pour la Paix, basée à Berlin, d'organiser le transfert de M. Navalny."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46946232", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-46919215", "doc1": "গোলাপি বড়ি ফ্লিবানসেরিনকে বলা হচ্ছে মেয়েদের ভায়াগ্রা মিশরের মতো একটি সামাজিকভাবে রক্ষণশীল দেশে কি এর বাজার আছে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন বিবিসির স্যালি নাবিল। তিনি কথা বলেছেন এমন কয়েকজন মিশরীয় নারীর সাথে - যারা এ ওষুধ খেয়েছেন। \"আমার ঘুম পাচ্ছিল, মাথা ঘুরছিল, হৃদপিন্ডের গতি দ্রুততর হয়ে গিয়েছিল\" - এটা খাওয়ার পর কি হলো তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন লায়লা, মিশরের একজন রক্ষণশীল গৃহবধু। এটা অবশ্য তার আসল নাম নয়। ভায়াগ্রা হচ্ছে এমন একটি ওষুধ যা পুরুষদের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর ওষুধের রাসায়নিক নাম হচ্ছে ফ্লিবানসেরিন - যার নাম দেয়া হয়েছে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা।' প্রায় তিন বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা প্রথম ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। এখন মিশরের একটি স্থানীয় ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানিই এটা তৈরি করছে। মিশরে মেয়েদের ভায়াগ্রার রং গোলাপি। এখানে বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে, পুরুষদের 'নীল বড়ির' নারী সংস্করণ হচ্ছে এই গোলাপি বড়ি। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ক্ষমতার এ দফায় কী চাইছেন শেখ হাসিনা জেনারেল এরশাদের অসুস্থতা নিয়ে যা জানা যাচ্ছে মিশরের ওষুধের দোকানে মেয়েদের ভায়াগ্রার বিজ্ঞাপন ১০ বছর বিবাহিত জীবন যাপন করার পর, নিতান্ত কৌতুহলবশেই লায়লা এই মেয়েদের ভায়াগ্রা খাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে 'নীল বড়ি' অর্থাৎ পুরুষদের ভায়াগ্রা আর মেয়েদের গোলাপি ভায়াগ্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে কাজ করে। পুরুষদের ভায়াগ্রা কাজ করে পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে যাতে তার উত্থানশক্তি বাড়ে। আর ফ্লিবানসেরিন মূলত মেয়েদের বিষণ্নতা কাটায় এবং মস্তিষ্কে রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য এনে তার যৌন ইচ্ছা বাড়ায়। সেদিক থেকে মিডিয়াতে একে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা' বলা হলেও এ নামটা যথার্থ কিনা - এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। লায়ল�� তার পরিচয় গোপন করেছেন এই জন্য যে মিশরে একজন নারীর পক্ষে যৌন সমস্যা বা তার যৌন প্রয়োজন সম্পর্কে কথা বলা এখনো খুবই বিরল ঘটনা। লায়লার কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই। তিনি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ওষুধ কিনলেন। মিশরে এটা কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। ওষুধের দোকানদার বললো: \"প্রতি রাতে একটি করে কয়েক সপ্তাহ ধরে এটা খেতে হবে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।\" লায়লা জানালেন, \"আমার স্বামী আর আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম এটা খেলে কি হয়। একবার খেয়ে দেখেছি আর খাবো না।\" তবে এর উৎপাদক কোম্পানির মতে মাথা ঘোরার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুদিন পরই সেরে যায়। কিন্তু চিকিৎসক এবং ওষুধ-প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অনেকে এর সাথে একমত নন। মিশরে ইদানিং বিবাহবিচ্ছেদের হার ক্রমশ বাড়ছে, আর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দম্পতিদের মধ্যে নানা রকম যৌন সমস্যা এর অন্যতম কারণ। ফ্লিবানসেরিনের স্থানীয় উৎপাদনকারী কোম্পানি বলছে, মনে করা হয় মিশরের প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে তিন জনেরই যৌন ইচ্ছা কম। কিন্তু এটা অনুমাননির্ভর - কারণ এ দেশে এ বিষয়ে পরিসংখ্যান মেলা দুষ্কর। এই কোম্পানির প্রতিনিধি আশরাফ আল-মারাগি বলছেন, 'এই ওষুধ রীতিমত বিপ্লব, মিশরে এরকম চিকিৎসার খুবই প্রয়োজন।\" ফ্লিবানসেরিন-এর একটি প্যাকেট একজন ফার্মাসিস্ট বলেছেন, এ ওষুধ খেলে রক্তচাপ অনেকটা কমে যেতে পোরে, এবং হৃৎপিন্ড ও যকৃতের সমস্যা আছে এরকম কারো দেহে এটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। মুরাদ সাদিক নামে কায়রোর একটি ফার্মেসির এক কর্মকর্তা বলছেন, এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলে দেয়া হলেও ক্রেতারা এটা কেনার জন্য চাপাচাপি করে। প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ক্রেতা আসে। বেশির ভাগই পুরুষ, কারণ মেয়েরা এখনও দোকানে এসে এটা কিনতে লজ্জা পায়। তবে হেবা কুতুব নামে মিশরের একজন সেক্স থেরাপিস্ট বলছেন, তিনি এই ফ্লেবানসেরিন তার রোগীদের দেবেন না - কারণ এর কার্যকারিতা খুবই কম, বরং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বেশি। তার কথা হলো - \"মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌনতা একটা মানসিক ব্যাপার। একজন নারী কখনোই তার স্বামীর সাথে সুন্দর যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না যদি স্বামী তার সাথে ভালো ব্যবহার না করে। কোন ওষুধই এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না।\" লায়লা বলছেন, তিনি এমন অনেক নারীকে চেনেন যাদের স্বামীর সাথে সম্পর্কের কারণে যৌন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ব��ছেন, \"স্বামী যদি ভালোবাসাপূর্ণ সঙ্গী হন, তাহলে তার যৌন দুর্বলতা থাকলেও স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করবে, তার চিকিৎসা করাবে। কিন্তু স্বামী বিছানায় পটু হলেও যদি সে অত্যাচারী হয়, তাহলে তার প্রতি স্ত্রীর কোন আগ্রহ থাকে না।\" \"পুরুষরা এটা বুঝতে পারে বলে আমার মনে হয় না\" - বলেন তিনি। যাই হোক, ফার্মেসী কর্মকর্তা সাদিকের মতে মিশরে ফ্লিবানসেরিনের বিক্রি আশাব্যঞ্জক, এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। তবে সেক্স থেরাপিস্ট মিজ কুতুব উদ্বিগ্ন যে এর ফলে বিবাহিত জীবনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: কোন বয়সে হওয়া উচিত প্রথম যৌনমিলন? যৌন আসক্তি বলে কি সত্যিই কিছু আছে? ভাইব্রেটর কি যৌন আনন্দ উপভোগে বাধা হতে পারে? 'ভালোবাসা থাকলেও কখনো যৌন মিলন হয়নি'", "doc2": "La Flibanserine est produite en Egypte par une société pharmaceutique locale. \"Je me sentais somnolent et étourdi, et mon cœur s'emballait.\" C'est ce que Leila a ressenti après avoir pris sa première pilule de ce que l'on appelle le \"Viagra féminin\" - connu sous le nom scientifique de Flibanserine. Le médicament a été autorisé pour la première fois aux États-Unis il y a près de trois ans et est désormais produit en Égypte par une firme pharmaceutique locale. Leila - un nom d'emprunt - est une femme au foyer conservatrice dans la trentaine. Elle préfère cacher son identité car, comme beaucoup de femmes en Egypte, parler de problèmes sexuels et de ses désirs sexuels sont encore très tabou. Après presque 10 ans de mariage, elle soutient qu'elle a décidé de se procurer le médicament \"par simple curiosité\". A lire aussi : Le \"Viagra pour femmes\" bientôt sur le marché A lire aussi : Qu'est ce que la Flibanserine ? A lire aussi : Dr Love, une application pour parler de sexe en RDC Les avis sont partagés sur l'opportunité de la vente de la Flibanserine aux femmes Leila, qui n'a aucun problème de santé, a acheté le médicament sans ordonnance - une pratique très courante en Égypte, où les gens peuvent acheter de nombreux médicaments en vente libre. \"Le pharmacien m'a dit de prendre une pilule tous les soirs pendant quelques semaines. Il a dit qu'il n'y aurait pas d'effets secondaires\", dit-elle. \"Mon mari et moi voulions voir ce qui allait se passer. J'ai essayé une fois, et je ne le ferai plus jamais.\" A lire aussi : L'ONU dit non aux tests de virginité A lire aussi : Tunisie : \"des vierges médicalement assistées'' A lire aussi : Kenya : pas de sexe avant les résultats des élections Les taux de divorce sont à la hausse en Égypte, et certains médias locaux l'ont attribué à des problèmes sexuels persistants dans les couples. Le fabricant local de la Flibanserine affirme que trois femmes sur dix en Égypte ont une faible libido. Mais ces chiffres ne sont que des estimations approximatives - de telles statistiques sont difficiles à obtenir dans le pays. \"Ce traitement est très nécessaire ici - c'est une révolution\", déclare Ashraf Al Maraghy, un représentant de l'entreprise qui produit le médicament en Egypte. La publicité fait l'éloge de la \"pilule rose\" M. Maraghy affirme que le médicament est sûr et efficace, et que les étourdissements et la somnolence disparaîtront avec le temps - mais de nombreux pharmaciens et médecins ne partagent pas cet avis. Murad Sadiq indique que le médicament pourrait faire chuter la tension artérielle à des \"niveaux alarmants\" et pourrait être problématique pour les personnes souffrant de problèmes cardiaques et hépatiques. Il prend donc le temps d'explique aux clients les effets secondaires du médicament, mais ces dernier \"insistent toujours pour l'acheter\". A lire aussi : Le déséquilibre entre les sexes A lire aussi : Voici ce qu’il faut pour plaire aux femmes \"Environ 10 personnes par jour viennent acheter le médicament. La plupart d'entre eux sont des hommes. Les femmes sont trop timides pour le demander.\" \"Tout est dans la tête\" Dans la pharmacie de M. Sadiq, une publicité fait l'éloge de la Flibanserine sous le nom évocateur de \"la pilule rose\". C'est la version féminine de la \"pilule bleue\" - un terme utilisé en Egypte pour désigner le Viagra pour hommes. Mais le fabricant dit que le terme \"Viagra féminin\" est inexact. \"Ce sont les médias qui ont inventé ce nom, pas nous\", affirme M. Maraghy. La Flibanserine est surnommée le \"Viagra femelle\" Lire plus sur la sexualité La taille des doigts détermine l'orientation sexuelle \"L'identité prime sur la sexualité\" Sexualité : le cycliste Robert Millar \"devient\" une femme Ebola et sexualité : l'OMS prévient Alors qu'une pilule de Viagra traite le dysfonctionnement érectile en améliorant le flux sanguin vers le pénis, la Flibanserine a été développée comme un antidépresseur et un stimule du désir sexuel en équilibrant les substances chimiques dans le cerveau. Le \"Viagra féminin est un terme trompeur\", dit Heba Qotb, sexologue, qui a refusé de le prescrire à l'un de ses patients. \"Cela ne fonctionnera jamais avec une femme qui souffre de problèmes physiques ou psychologiques\", ajoute-t-elle. \"Pour les femmes, le sexe est un processus émotionnel. Tout commence dans l'esprit. Une femme ne peut jamais avoir une relation intime saine avec son mari s'il la maltraite. Aucun médicament n'y changera rien.\" A lire aussi : Un juge demande de mesurer les parties intimes d'un prévenu Mme Qotb dit que l'efficacité de la Flibanserine est très faible et ne vaut pas le risque. \"Le ralentissement de la tension artérielle est un effet secondaire très grave\", prévient-elle. Les femmes égyptiennes ont encore beaucoup de chemin à parcourir avant de se sentir à l'aise de parler de leurs besoins sexuels. Le Viagra traite le dysfonctionnement érectile chez l'homme Leila, notre anonyme, dit qu'elle connaît beaucoup de femmes \"qui ont demandé le divorce après que leur relation sexuelle se soit détériorée en raison de la tension accumulée dans leur mariage\". \"Si votre mari est sexuellement faible, vous le soutiendrez et l'aiderez à se faire soigner, à condition qu'il soit un partenaire qui vous aime. Mais si vous avez un mari violent, vous allez certainement perdre tout intérêt pour lui, même s'il est bon au lit. Les hommes ne semblent pas comprendre ça.\" A lire aussi : Une université sud-africaine expulse des étudiantes enceintes A lire aussi : Kenya: Du sexe contre du poisson A lire aussi : Le \"jihad du sexe\" en Syrie Bien qu'il n'en soit qu'à ses débuts, Murad Sadiq, le directeur de la pharmacie interrogé, affirme que les ventes de Flibanserine ont été très prometteuses jusqu'à présent et croit qu'elles vont augmenter. Mais Mme Qotb, la sexologue, est très préoccupée par les répercussions potentielles sur les mariages. \"Lorsqu'un homme ne remarque aucune amélioration dans la libido de sa femme, même si elle a pris les pilules, il lui en voudra et ne songera pas à un médicament inefficace ou à leur relation tendue. Il pourrait même trouver une excuse pour la répudier.\" La \"pilule rose\" semble avoir un marché prometteur en Egypte"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57044990", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57048145", "doc1": "লং মার্চ ফাইভবি রকেটটি ২৯শে এপ্রিল চীনের ওয়েনচং থেকে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, রকেটটির বেশিরভাগ অংশই বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় ধ্বংস হয়, কিন্তু এর কিছু অংশ ৭২.৪৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২.৬৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ বরাবর পড়ে। জায়গাটি ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের পশ্চিম দিকে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, লং মার্চ ফাইভবি ইয়ো-২ নামের এই রকেটটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে গ্রীনিচ মান সময় ভোর ২টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টা ২৪ মিনিট)। এর আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল রকেটটির ধ্বংসাবশেষ জনবহুল এলাকায় গিয়ে পড়তে পারে। মার্কিন স্পেস কমাণ্ড এক বিবৃতিতে লং মার্চ ফাইভবি-র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করেছে, তবে এটি কোথায় আঘাত হেনেছে তা 'অজানা' বলে উল্লেখ করছে। আরও পড়তে পারেন: ভারত��র করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে চীনের সোশ্যল মিডিয়ায় বিদ্রূপ ভারতকে বাদ রেখে চীনের টিকা স্টোরেজ উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্মতি চীনের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক অপহরণের অভিযোগ; উত্তেজনা বৃদ্ধি চায়না ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোয় খবর প্রকাশ করা হয়েছে যে, রকেটের অবশিষ্টাংশ ভারত মহাসাগরে পড়েছে, যদিও বড় একটি অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধ্বংস হয়ে গেছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সমুদ্রে অবশিষ্ট অংশগুলো পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তথ্য গ্রহণ করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা স্পেস-ট্রাক রকেটের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করেছে। একটি টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলছে, ''যারা লং মার্চ ফাইভবি-র পৃথিবীতে প্রবেশের বিষয়টি নজরদারি করছিলেন, তারা সবাই এখন আরাম করতে পারেন। রকেটটি ধ্বংস হয়েছে।'' বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছিলেন যে, রকেটের টুকরোগুলো পৃথিবীর সমুদ্রেই পড়তে যাচ্ছে, যেহেতু পৃথিবীর ৭০ শতাংশই পানি। তবে অনিয়ন্ত্রিত এই রকেটের পৃথিবীর দিকে আসার ঘটনায় অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, কারণ সেটি ক্ষয়ক্ষতি বা কাউকে হতাহত করতে পারে। যদিও সেই সম্ভাবনা খুব কমই ছিল। কক্ষপথ থেকে রকেট পড়ে যাওয়ার জন্য চীনের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। গত বছর আরেকটি লং মার্চ রকেটের একটি টুকরো পড়েছিল আইভরি কোস্টের একটি গ্রামে, যেখানে কোন হতাহত না হলেও স্থাপনার ক্ষতি হয়েছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জেরুজালেমে দ্বিতীয় রাতের মতো সহিংসতায় বহু আহত বাংলাদেশে ফেরিঘাটে জনস্রোত ঠেকাতে রবিবার থেকে বিজিবি মোতায়েন করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো বাংলাদেশে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পেলে কী হবে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে মহাকাশে ঘুরছে ২শ ‘টাইম বোমা’ এএফপি জানাচ্ছে, হার্ভার্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডয়েল একটি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ''পরিসংখ্যানগত ভাবে সাগরে পড়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি ছিল।'' ''দেখা যাচ্ছে, চীন এই জুয়ায় জিতে গেছে, (যদি না আমরা মালদ্বীপে টুকরো পড়ার খবর পাই)। তারপরেও এটা একটা দায়িত্বহীন ব্যাপার।'' এর আগে মি. ম্যাকডয়েল মন্তব্য করেছিলেন যে, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে চীনের ��চিত তাদের লং মার্চ-ফাইভবি রকেটের পুনঃনকশা করা। চীনের 'উচ্চভিলাষী' মহাকাশ অভিযান দেশটির উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৯শে এপ্রিল ওয়েনচ্যাং স্পেস কেন্দ্র থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি নতুন ও স্থায়ী স্পেস স্টেশনটির একটি মডিউল কক্ষপথে বহন করতে ব্যবহার করা হয়। কীভাবে বদলে যাচ্ছে পৃথিবী বেইজিং ২০২২ সালের মধ্যে তাদের নতুন মহাকাশ কেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার আগেই কমপক্ষে আরও ১০টি অনুরূপ রকেট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেন তারা প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম কক্ষপথে নিয়ে যেতে পারে। চীন রাশিয়ার সহযোগিতায় একটি চান্দ্র স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছে।মহাকাশ অভিযানে কিছুটা পিছিয়ে আছে চীন। দেশটি মহাকাশে প্রথম নভোচারী পাঠিয়েছিল ২০০৩ সালে।সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশক পর।", "doc2": "La fusée Longue Marche 5B a été lancée de Wenchang en Chine le 29 avril. La majeure partie de la fusée a été détruite lors de sa rentrée dans l'atmosphère, mais les médias d'État ont rapporté que des débris ont atterri juste à l'ouest des Maldives dimanche. Des jours de spéculation ont été consacrés à l'endroit où la fusée pourrait atterrir, et les responsables américains et d'autres experts ont averti que son retour risquait de faire des victimes. Mais la Chine a insisté sur le fait que le risque était faible. Le vaisseau Longue Marche-5b est rentré dans l'atmosphère à 10h24 heure de Pékin (02h24 GMT) dimanche, ont rapporté les médias d'État, citant le bureau chinois d'ingénierie spatiale habitée. Aucun blessé ni dommage n'a été signalé. Les débris de la fusée de 18 tonnes, l'un des plus gros engins depuis des décennies à avoir fait une plongée non dirigée dans l'atmosphère, ont atterri dans l'océan Indien à un point situé à 72,47° Est et 2,65° Nord. Le commandement spatial américain, quant à lui, a simplement déclaré que la fusée était \"rentrée dans la péninsule arabique\". Il n'a pas confirmé le point d'atterrissage rapporté par les médias chinois, déclarant à la place qu'il était \"impossible de savoir si les débris avaient touché la terre ou l'eau\". Le service de surveillance Space-Track, qui utilise les données de l'armée américaine, a déclaré que la fusée avait été enregistrée au-dessus de l'Arabie saoudite avant de tomber dans l'océan Indien, près des Maldives. Pékin lance un vaisseau dans l'espace avec deux astronautes Le retour incontrôlé de la fusée a suscité des critiques virulentes de la part des États-Unis, qui craignaient qu'elle n'atterrisse dans une zone habitée. Des sites web américains et européens ont suivi le retour de la fusée, et les réseaux sociaux ont beaucoup spéculé sur l'endroit où les débris pourraient atterrir. \"Les nations spatiales doivent minimiser les risques pour les personnes et les biens sur terre\", a déclaré le secrétaire américain à la défense, Lloyd Austin, dans un communiqué. \"Il est clair que la Chine ne respecte pas les normes de responsabilité concernant ses débris spatiaux\". Les experts de l'espace ont toutefois prédit que les chances que quelqu'un soit touché étaient très faibles, notamment parce qu'une grande partie de la surface de la Terre est recouverte par les océans et que d'énormes zones terrestres sont inhabitées. Le segment principal du véhicule Longue Marche-5b a été utilisé pour lancer le mois dernier le premier module de la nouvelle station spatiale chinoise. Initialement injecté sur une orbite elliptique d'environ 160 km sur 375 km (99 miles sur 233 miles) au-dessus de la surface de la Terre le 29 avril, l'étage principal du véhicule Longue Marche-5b a rapidement commencé à perdre de la hauteur. La Russie rétablit le contact avec Angosat1 La Russie perd le contact avec le 1er satellite angolais Pourquoi trois missions spatiales atteignent-elles Mars en même temps ? Divers experts en modélisation des débris spatiaux ont prédit que la majeure partie du véhicule brûlerait lors de son plongeon final dans l'atmosphère, même s'il était toujours possible que des métaux à haut point de fusion et d'autres matériaux résistants survivent jusqu'à la surface de la Terre. Lorsqu'un étage central similaire est revenu sur Terre il y a un an, des tuyaux supposés provenir de la fusée ont été identifiés au sol en Côte d'Ivoire, en Afrique occidentale. La Chine s'est offusquée de la suggestion selon laquelle elle aurait été négligente en autorisant le retour incontrôlé d'un objet de cette taille. Les médias chinois ont qualifié de \"battage médiatique\" les informations occidentales sur les risques potentiels et ont prédit que les débris tomberaient quelque part dans les eaux internationales. Ces dernières années, la Chine n'a pas fait mystère de ses ambitions spatiales. Le pays a investi des milliards de dollars dans ses efforts spatiaux et, en 2019, il est devenu le premier pays à envoyer un rover sans équipage sur la face cachée de la Lune. Le président Xi Jinping a également apporté son soutien à ces efforts et les médias d'État ont souvent présenté le \"rêve spatial\" comme une étape sur la voie du \"rajeunissement national\". La station spatiale Tiangong pourrait être opérationnelle dès l'année prochaine. Les médias chinois parlent également de missions vers Mars et d'une éventuelle station lunaire partagée avec la Russie."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54382032", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54385456", "doc1": "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। ৭৪ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট এবং ৫০ বছর বয়সী ফার্স্ট লেডি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তবে মিঃ ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কনলি একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি \"এই সময়ে দুজনই ভাল আছেন, এবং তারা সেরে না ওঠা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের ঘরেই থাকবেন\"। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, \"আমি আশা করি যে প্রেসিডেন্ট এই সময়ের মধ্যে বিনা বাধায় তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন এবং আমি সব খবর আপনাদের জানাবো।\" ট্রাম্পের নিকটতম সহযোগীদের একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পরে বিষয়টি সামনে আসে। ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে, তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তিনি এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে আছেন। প্রেসিডেন্টের নিকটতম কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী এই উপদেষ্টা এখন অবধি প্রথম কেউ যার করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ওহাইওতে ট্রাম্পের সাথে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি বিতর্কে যোগ দিতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন। মিস. হিকস কোনও মাস্ক ছাড়াই ক্লিভল্যান্ডে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের জেট থেকে নেমেছিলেন, এমন ছবি প্রকাশ হয়েছে। বিতর্কে অংশ নেওয়া মিঃ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনের মুখেও কোন মাস্ক দেখা যায়নি। বুধবার মিনেসোটাতে এক সমাবেশ করার সময় হোপ হিকস প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানে প্রেসিডেন্টের আরও কাছাকাছি ছিলেন। আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: অবশেষে মাস্ক পরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মাস্ক নিয়ে সুর পাল্টালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প হোপ হিকস হোয়াইট হাউস যোগাযোগ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। মিঃ ট্রাম্প কী বলেছেন? মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আজ রাতে তিনি এবং ফার্স্টলেডি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। আমরা আমাদের কোয়ারেন্টিন এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করবো। আমরা একসাথে এর থেকে বেরিয়ে আসবো।\" এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে তিনি টুইট করেছিলেন: \"হোপ হিকস, যিনি কোন বিরতি না নিয়ে এত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন, তিনিও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন। ভয়ঙ্কর!\" \"ফার্স্ট লেডি এবং আমি আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি, এই সময়ের মধ্যে, আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রক্রিয়া শুরু করবো!\" প্রেসিডেন্ট কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ১৫ই অক্টোবর নির্ধারিত দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট বিতর্কের ব্যবস্থাপনায় কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনও পরিষ্কার নয়। বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প \"হোপের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন\"। \"সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়,\" প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেই বলেন যে, ''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,''। মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে\"। বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প \"হোপের সাথে অনেকটা ��ময় কাটিয়েছেন\"। \"সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়,\" প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে\"। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে আর কেউ করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন? মিস হিকস হোয়াইট হাউস সর্বশেষ কেউ যিনি কোভিড -১৯ পজিটিভ হয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার মে মাসে করোনাভাইরাস পজিটিভ হন। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একই মাসে, ইউএস নেভির একজন সদস্য যিনি মিঃ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভ্যালেটগুলোর একজন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও করোনাভাইরাস পজিটিভ হন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের কেউই তাদের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েননি। জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়ান, সিক্রেট সার্ভিসের বেশ কয়েকজন এজেন্ট, একজন মেরিন ওয়ান পাইলট এবং হোয়াইট হাউসের ক্যাফেটেরিয়া কর্মীও স্বাস্থ্যপরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছিলেন। মিস হিকস হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হওয়ার এর আগে মিঃ ট্রাম্পের প্রার্থিতার সময় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার মুখপাত্র ছিলেন। তিনি ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে, রুপার্ট মারডকের ফক্স নিউজের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার চাকরি থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এ পদত্যাগ করেছিলেন। করোনাভাইরাস ৭২ লাখেরও বেশি আমেরিকান সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। হোয়াইট হাউস সহায়তাকারী যারা প্রেসিডেন্টের সংস্পর্শে আসেন, প্রতিদিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। হোপ হিকস প্রায়শই অন্���ান্য সহযোগীদের সাথে প্রেসিডেন্টের সাথে ভ্রমণ করতেন। হোপ হিকস কে? •যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের গ্রিনউইচে বেড়ে উঠেছেন। •কৈশোরে মডেলিং শুরু করেন একবার রাল্ফ লরেনের বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছিল। •আগে একটি জনসংযোগ সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি ইভানকা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্যবসা এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্র্যান্ড পরিচালনার কাজ করতো। •২০১৪ সালে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বছর পরে তাকে তার প্রচার দলে নিয়ে আসেন। •মিঃ ট্রাম্প তাকে \"হোপস্টার\" নামে ডাকতেন, তিনি তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সহায়ক এবং এমন কিছু লোকের মধ্যে তিনি আছেন যারা ট্রাম্পকে তার মতামত পরিবর্তন করতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।", "doc2": "Le président déclare : \"Nous allons nous en sortir ensemble\". M. Trump, âgé de 74 ans et donc dans un groupe à haut risque, a écrit sur Twitter : \"Nous allons nous en sortir ensemble.\" Il le fait après que Hope Hicks, l'une de ses plus proches collaboratrices, ait été testée positive. Lire aussi : Donald Trump défend à nouveau l'hydroxychloroquine contre le coronavirus Obama critique encore la gestion du coronavirus par Trump Coronavirus : six déclarations de Trump à l'épreuve de la vérité L'annonce de M. Trump intervient un peu plus d'un mois avant les élections présidentielles du 3 novembre, où il affrontera le challenger démocrate Joe Biden. Mme Hicks, 31 ans, s'est rendue avec le président Trump sur Air Force One au premier débat télévisé présidentiel avec Joe Biden dans l'Ohio mardi. Certains des membres de la famille présidentielle qui ont assisté au débat ont été vus ne portant pas de masque. Donald Trump a surtout rejeté le port du masque et a souvent été dépeint comme n'étant pas socialement distancé par des aides ou autres lors d'engagements officiels. Le coronavirus a infecté plus de 7,2 millions d'Américains, tuant plus de 200 000 d'entre eux. Lire aussi : La nuit où la démocratie américaine a touché le fond Qui a gagné le débat Trump-Biden ? Echanges chaotiques et insultes entre Donald Trump et Joe Biden Que savons-nous de la santé de M. Trump ? Le médecin de M. Trump, le Dr Sean Conley, a publié une déclaration tard dans la journée de jeudi, indiquant que le président et la première dame étaient \"tous deux en bonne santé pour le moment, et qu'ils prévoient de rester chez eux à la Maison Blanche pendant leur convalescence\". \"Soyez assurés que je m'attends à ce que le président continue à exercer ses fonctions sans interruption pendant sa convalescence, et je vous tiendrai informés de tout développement futur\", selon la déclaration. Le médecin n'a fourni aucun autre détail. Selon le dernier examen physique de M. Trump, effectué au début de l'année, il pesait 110,7 kg. Il est considéré comme obèse pour sa taille de 1,90 m. Mais le Dr Conley a déclaré à l'époque que le président \"reste en bonne santé\". M. Trump bénéficiera également des meilleurs soins médicaux disponibles. Selon les Centres américains de contrôle et de prévention des maladies, une personne doit être mise en quarantaine pendant 10 jours après un test positif. A regarder aussi : #LaVieAvecLeCorona ou comment la pandémie met à l'épreuve nos capacités d'adaptation."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50378827", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50383038", "doc1": "আলবেনিয়ায় মুজাহিদিন-ই-খাল্কের কিছু সদস্য এদের অনেকের অভিযোগ, মুজাহিদিন-ই-খাল্ক গোষ্ঠীর কঠোর অনুশাসন তাদের ব্যক্তিজীবনে সমস্যা তৈরি করছে। এসব অনুশাসনের মধ্যে রয়েছে সেক্স না করা, এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষ���ধ। এদের মধ্যে কিছু এমইকে সদস্য আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানায় বসবাস করছেন। \"গত ৩৭ বছর ধরে আমার স্ত্রী আর ছেলের সাথে কোন কথা হয়নি। তারা ধরে নিয়েছিল আমি আর বেঁচে নেই। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, 'না, আমি বেঁচে আছি, এখন আলবেনিয়ায় থাকি … একথা শুনে তারা কেঁদেছে।\" গোলাম মির্জাইয়ের জন্য এত দীর্ঘদিন পর স্ত্রী-সন্তানের সাথে যোগাযোগ করা খুব সহজ অভিজ্ঞতা ছিল না। তার বয়স এখন ৬০। টিরানার উপকণ্ঠে এমইকে'র সামরিক ক্যাম্প থেকে দু'বছর আগে তিনি পালিয়ে যান। তিনি এখন টিরানায় কোনমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও দু:খ পান যখন অনেকেই অভিযোগ করেন যে তিনি এখন চিরশত্রু ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন। এমইকে'র ইতিহাস ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং রক্তাক্ত। এটি মূলত ইসলামপন্থী মার্কসবাদীদের একটি সংগঠন। ১৯৭৯ সালে যে ইসলামী বিপ্লব ইরানের শাহ্-কে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এমইকে সেই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এক সময় আয়াতোল্লাহ্ খোমেনির সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করলে এমইকে সদস্যরা গা ঢাকা দেন। গোলাম মির্জাই, বহু বছর যার সাথে পরিবারের যোগাযোগ নেই। প্রতিবেশী দেশ ইরাক তাদের আশ্রয় দেয়। এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় এমইকে সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে নিজের মাতৃভূমির বিরুদ্ধে লড়াই করে। গোলাম মির্জাই নিজে অবশ্য একসময় ইরানের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধের গোড়ার দিকে তিনি ইরাকী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং যুদ্ধবন্দি হিসেবে আট বছর ইরাকে আটক ছিলেন। সে সময় তার মত বন্দিদের ইরানের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছিল, এবং তিনি সেটাই করেন। মি. মির্জাইকে এখন 'সাবেক সাথী' হিসেবে বর্ণনা করা হয়। সংগঠনটি আলবেনিয়ায় সরে যাওয়ার পর এমইকে ত্যাগ করেছেন যেসব শত শত সদস্য তিনি তাদের একজন। এদের মধ্যে অনেকেই নানা পথে ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে গেছেন। কিন্তু বহু সদস্য এখনও টিরানায় বসবাস করছেন, যেখানে তারা রাষ্ট্রহীন, গৃহহীন ও কর্মহীন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একসময় এমইকে'কে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাহলে এমইকে'র লড়াকু যোদ্ধারা কিভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপের এই ছোট্ট দেশে গিয়ে হাজির হলেন? দু'হাজার তিন সালে ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন অভিযানের সময় এমইকে চরম বি���দে পড়ে যায়। তাদের রক্ষাকর্তা সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর এমইকে নানা দিক থেকে আক্রমণের মুখে পড়ে। বহু সদস্য প্রাণ হারান। তাদের এই সঙ্গিন মুহূর্তে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য আসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। মূলত আমেরিকাই আলবেনিয়ার সরকারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রায় ৩০০০ এমইকে সদস্যকে আলবেনিয়ায় নিয়ে যায়। তেহরানে আটক এমইকে সদস্য। ১৯৮২ সালের ছবি। আরও পড়তে পারেন: 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প সৌদি আরবে হামলার ঝুঁকি ইরান কেন নেবে? বিশ্ব তেল বাজারে 'ইরান হুমকি' নিয়ে সতর্ক করলেন সৌদি যুবরাজ \"আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, হামলার হাত থেকে রক্ষা করেছি। এমন একটি দেশে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ করে দিয়েছি যেখানে তারা কোন ধরনরে হেনস্থা, আক্রমণ বা দমনের শিকার হবে না\" - বলছেন আলবেনিয়ার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লুলঝিম বাসা। তারা এখন বিরোধীদলে, কিন্তু মুজাহেদিন-ই-খাল্ক সদস্যদের আলবেনিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় তারাই দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। আলবেনিয়ার রাজনীতি বিভক্ত হলেও একটা বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে। সেটা হলো এমইকে'র উপস্থিতি। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদল উভয়েই প্রকাশ্যে তাদের ইরানি অতিথিদের সমর্থন করে। আলবেনিয়ায় যাওয়ার পর এমইকে'র সদস্যদের নতুন জীবন শুরু হয়। গোলাম মির্জাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে সে দেশের শিশুদের হাতেও মোবাইল ফোন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে টিরানার উপকণ্ঠে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে এমইকে'র সদস্যদের রাখা হয়। ইরাকে তাদের জীবন যেমন কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে ছিল, টিরানাতে সেই নিয়মকানুন শিথিল হয়ে পড়ে। \"আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের পেছনে ছিল কিছু পতিত জমি। আমাদের অধিনায়করা বললেন ওখানে আমাদের প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে,\" বলছেন হাসান হেয়রানি। তিনিও এমইকে'র একজন সাবেক সদস্য। পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য মি. হেয়রানি এবং তার সহকর্মীরা টিরানার ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোর বাইরের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকতেন। \"আমরা যখন ইরাকে ছিলাম তখন বাড়িতে ফোন করতে চাইলে বলা হতো আমরা দুর্বল,\" তিনি বলছেন, \"কিন্তু টিরানায় আসার পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতাম।\" ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মুজাহিদিন-ই-খাল্কের নারী সদস্যরা (১৯৮৪) দু'হাজার সতের সালের শেষ নাগাদ, এমইকে তার সদর দপ্তর পরিবর্তন করে। টিরানা থেকে ৩০ কি.মি. দূরে একটি পাহাড়ের ঢালে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। বিশাল লোহার গেটের ভেতরে রয়েছে মার্বেলের খিলান - যার ওপর বসে আছে সোনালি এক সিংহের মূর্তি। বিনা আমন্ত্রণে সাংবাদিকদের ওখানে ঢোকা নিষেধ। তবে চলতি বছর জুলাই মাসে ঐ ক্যাম্পে ইরানের মুক্তির ওপর এক অনুষ্ঠানে হয় যেখানে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। বিভিন্ন দেশ থেকে রাজনীতিবিদ, গুরুত্বপূর্ণ আলবেনিয়ান এবং পাশের গ্রাম মানজে থেকে অতিথিরা ঐ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এমইকে প্রধান মারিয়াম রাজাভির সাথে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। সামরিক পোশাক পরা এমইকে'র সদস্যদের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, \"এই লোকেরা স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।\" মি. জুলিয়ানির মতো ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদরা ইরানে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চান। এমইকে'র ইশতেহারে স্বাধীন ইরানে মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাসান হেয়রানি এসব বিশ্বাস করেন না। এমইকে'র সদস্যদের ব্যক্তি জীবনের ওপর নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করে গত বছর তিনি ঐ সংগঠন ত্যাগ করেন। তার বয়স যখন ২০ বছর তখন এমইকে'র বহুত্ববাদী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি ঐ গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন। এমইকে'র একটি মিটিং-এ যোগদানের ঘটনাটি তাকে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেছিল। হাসান হেয়রানি। \"আমাদের হাতে থাকতো ছোট্ট একটি নোটবুক। সেখানে আমাদের নানা যৌন অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখতে হতো। যেমন, 'আজ সকালে আমি বেশ উত্তেজিত হয়েছিলাম।'\" আর নোটবুকের এসব লেখা এমইকে'র সদস্যদের প্রকাশ্যে মিটিঙের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবাইকে পড়ে শোনাতে হতো। এমইকে'র সদস্যদের প্রেম কিংবা বিয়ে করা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিধিনিষেধ আগে ছিল না। তখন আত্মীয়স্বজন এমইকে'র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারতো। কিন্তু ইরানের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের পর এমইকে'র নেতারা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে সদস্যদের পারিবারিক পিছুটানের জন্যই ঐ পরাজয় হয়েছে। এরপর এমইকে'র সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক হাতে বিবাহ বিচ্ছেদ শুরু হয়। শিশুদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দত্তক দেয়া হয়। অবিবাহিত এমইকে'র সদস্যরা ঐ আইন মেনে নেন। হাসান হেয়রানি, ২০০৬ সালে ইরাকে। \"যে কোন মানুষের জন্য এটা করা খুব কঠিন কাজ,\" বলছেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে বিবিসি মুজাহিদিন-ই-খাল্ক'র সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন জবাব দিতে চায় নি। এমইকে'র প্রতি সমর্থন থাকলেও আলবেনিয়াতে অনেকেই এই গোষ্ঠীকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে মনে করেন। মুজাহেদিনদের হত্যা করার চেষ্টা করেছেন, এই অভিযোগে আলবেনিয়া থেকে দু'জন ইরানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে যে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক কিংবা ফ্রান্সে ইরানের চরেরা এমইকে'র নেতাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। এমইকে'র ইরান মুক্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন রুডি জুলিয়ানি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: নেতাদের পদত্যাগ: কতটা চিন্তায় পড়েছে বিএনপি? বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় আজও সাজা হয়নি কারো রাজস্ব বোর্ড কি 'তামাক কোম্পানির পক্ষ নিচ্ছে?' কূটনীতিকরা মনে করছেন, এমইকে'র কিছু সাবেক সদস্য নিশ্চিতভাবেই ইরানের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছেন। গোলাম মির্জাই কিংবা হাসান হেয়রানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে খোদ এমইকে থেকেই। তবে দু'জনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই দু'জনেই এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন। হাসান হেয়রানি টিরানাতে একটি ক্যাফে চালু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোলাম মির্জাইয়ের পরিস্থিতি বেশ সঙ্গিন। হাতে টাকাপয়সাও নেই। তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। যুদ্ধের সময় আহত হয়েছিলেন। এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন। পরিবারের সাথে তার দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না। ৩৫ বছর পর তিনি প্রথমবারের মতো পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। \"বহুদিন ধরে আমার স্ত্রী আর সন্তানের কথা ভেবেছি। এক সময় মনে হতো যুদ্ধের সময় এরা হয়তো সবাই মারা গেছে,\" বলছেন তিনি, \"আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমার স্ত্রীর আর সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চাই।\" গোলাম মির্জাই সাহায্য চেয়ে টিরানার ইরানি দূতাবাসের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। এখনও বাড়ি ফেরার স্বপ্ন বুকে আঁকড়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু নাগরিকত্ব হারিয়ে, পাসপোর্ট হারিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া মি. মির্জাইয়ের সামনে এখন আর কোন পথ খোলা নেই। আলবেনিয়ার টিরানায় এমইকে'র নারী সৈন্য।", "doc2": "Des dizaines de personnes attendent dans la capitale albanaise, Tirana. Elles ne peuvent pas retourner en Iran ou reprendre une vie normale. \"Je n'ai pas parlé à ma femme et à mon fils pendant plus de 37 ans. Ils ont cru que j'étais mort. Mais je leur ai dit : non, je suis vivant, je vis en Albanie. Ils ont pleuré\", a confié Gholam Mirzai. Le premier contact téléphonique avec sa famille après tant d'années a été difficile pour M. Mirzai qui est âgé de 60 ans. Cela fait deux ans qu'il s'est enfui du campement militaire de la MEK à l'extérieur de Tirana. Aujourd'hui, c'est avec le cœur plein de regrets qu'il se promène dans la ville. Il est accusé par ses anciens camarades moudjahidin, de faire de l''espionnage pour le compte de leur ennemi juré, le gouvernement de la République islamique d'Iran. La MEK a une histoire mouvementée et sanglante. Les membres du mouvement qui est d'inspiration marxiste et islamiste, ont soutenu la révolution iranienne de 1979 qui a renversé le Shah. Mais les relations avec Ayatollah Khomeini se détériorèrent rapidement. Suite à une opération de rafle lancée par le gouvernement, les moudjahidin ont dû fuir pour sauver leur vie. Un rassemblement des membres de la MEK à Téhéran en 1982 L'Irak voisin offrait un sanctuaire, et depuis leur citadelle désertique pendant la guerre Iran/Irak (1980-1988), les MEK ont combattu aux côtés de Saddam Hussein contre leur patrie. Gholam Mirzai qui servait dans l'armée iranienne lorsqu'il a été capturé par les forces de Saddam Hussein au début du conflit a ensuite rejoint la MEK. Mirzai est devenu un \"dissident\". Il est parmi des centaines d'anciens membres de la MEK qui ont quitté l'organisation depuis leur arrivée en Albanie. Avec l'aide de fonds de la famille, certains ont payé des passeurs pour les emmener ailleurs en Europe, et peut-être deux d'entre eux sont rentrés en Iran. Mais des dizaines d'autres vivent encore à Tirana. Ils sont apatrides et ne peuvent officiellement pas travailler. Lire aussi: Arabie saoudite: \"interdit de danser ou de se trémousser\" Des agents humanitaires sont accusés d'abus sexuels sur des femmes syriennes. Mais comment les membres aguerris de la MEK, ancienne organisation terroriste interdite aux Etats-Unis et en Europe, ont-ils pu s'établir dans ce pays d'Europe ? En 2003, l'invasion alliée de l'Irak a rendu la vie difficile pour la MEK. Le pparrain de l'organisation, Saddam Hussein, a soudainement disparu et les moudjahidin ont été visés à plusieurs reprises par des attaques et des centaines d'entre eux ont été tués ou blessés. Craignant une catastrophe humanitaire encore plus grave, les Américains ont persuadé le gouvernement albanais en 2013 de recevoir quelque 3 000 membres de la MEK à Tirana. Des combattantes MEK s'entraînent pendant la guerre Iran/Irak (1984) \"Nous leur avons offert un abri contre les attaques et les abus, et la possibilité de mener une vie normale dans un pays où ils ne sont pas harcelés, attaqués ou brutalisés \", explique Lulzim Basha, chef du Parti démocratique, qui était au pouvoir à l'époque, et qui est maintenant dans l'opposition. En Albanie, la politique est profondément polarisée. Mais la présence de la MEK fait presque l'unanimité au sein de la classe politique . Les partis au pouvoir et d'opposition soutiennent leurs invités iraniens. Pour la MEK, l'Albanie était un environnement totalement nouveau. A son arrivée sur le sol albanais , Gholam Mirzai était étonné du niveau des libertés des citoyens. Certains moudjahidin ayant d'abord été logés dans des immeubles d'habitation à la périphérie de la capitale, l'emprise de l'organisation sur ses membres a été réduite. En Irak, elle contrôlait tous les aspects de leur vie, mais à Tirana, ils bénéficiaient d' une certaine forme de liberté. Lire aussi: RDC: une application pour parler de sexe ''Pas de sexe sans combat\" - s'attaquer au machisme en RDC \"Il y avait un terrain accidenté derrière les appartements où les commandants nous ont dit que nous devions faire de l'exercice tous les jours \", se souvient Hassan Heyrany, un autre \"dissident\". Heyrany et ses collègues ont utilisé la couverture d'arbres et de buissons pour se faufiler dans le cybercafé à proximité et prendre contact avec leurs familles. \"Quand nous étions en Irak, si vous vouliez téléphoner à la maison, la MEK vous considérait comme des faibles, donc nous n'avions aucune relation avec nos familles \", dit-il. \"Mais quand nous sommes venus à Tirana, nous avons trouvé Internet pour notre usage personnel.\" Hassan Heyrany maintenant Cependant, vers la fin de l'année 2017, les membres de la MEK ont été relogés dans un nouveau site . Le camp est construit sur une colline en pente douce dans la campagne albanaise, à environ 30 km de la capitale. Derrière l'imposant portail en fer, il y a un impressionnant arc de marbre surmonté de lions d'or. Un boulevard bordé d'arbres mène à un mémorial dédié aux milliers de personnes qui ont perdu la vie dans la lutte de la MEK contre le gouvernement iranien. Les journalistes non invités ne sont pas les bienvenus dans ce camp. Mais en juillet de cette année, de milliers de personnes y ont assisté à l'événement Free Iran de la MEK. Des hommes politiques du monde entier, des Albanais influents et des habitants du village voisin de Manze se sont joints à des milliers de membres de la MEK et à leur chef, Maryam Radjavi, dans l'auditorium glitzy. L'avocat personnel du président américain Donald Trump, Rudy Giuliani, s'est adressé à la foule. Rudy Giuliani : \"Si vous pensez que c'est une secte, alors il y a quelque chose qui cloche chez vous\" \"Ce sont des gens qui se consacrent à la liberté, a-t-il déclaré, faisant référence aux membres de la MEK qui sont vêtus d'uniformes et regroupés dans la salle selon le sexe. \"Et si vous pensez que c'est une secte, alors il y a quelque chose qui ne va pas chez vous\", a-t-il ajouté. Des politiciens puissants comme Giuliani soutiennent la lutte de la MEK pour changer le régime en Iran. Le manifeste du mouvement comprend un engagement en faveur des droits de l'homme, de l'égalité des sexes et de la démocratie participative en Iran. Lire aussi: Une député propose la grève du sexe HRW dénonce sexe contre aide humanitaire au Mozambique Mais Hassan Heyrany n'y croit plus. L'année dernière, il a quitté la MEK, rejetant ce qu'il considérait comme le contrôle oppressif de la direction sur sa vie privée. Heyrany avait rejoint les moudjahidin lorsqu'il était âgé d'une vingtaine d'années , motivé par son engagement en faveur du pluralisme politique. \"C'était très attirant. Mais si vous croyez en la démocratie, vous ne pouvez pas supprimer l'âme de vos membres\", dit-il. \"Le nadir de la vie d'Heyrany avec la MEK\" était une réunion du soir à laquelle il était obligé d'assister. Hassan Heyrany en Irak en 2006 \"On avait un petit carnet, et si on avait des moments sexuels, on devrait les noter. Par exemple : \"Aujourd'hui, le matin, j'ai eu une érection.\" Les relations romantiques et le mariage sont interdits par la MEK. Ce n'était pas toujours comme ça, les parents et leurs enfants avaient l'habitude de rejoindre les moudjahidin. Mais après la défaite sanglante lors d'une offensive de la MEK contre les Iraniens, les dirigeants de l'organisation ont affirmé que les moudjahidin étaient distraits par leurs relations personnelles. Un divorce en masse s'ensuivit. Des enfants ont été renvoyés, souvent dans des familles d'accueil en Europe, et des membres célibataires de la MEK se sont engagés à le rester. Dans ce carnet, Heyrany dit qu'ils devaient aussi écrire leurs rêves personnels. Par exemple, \"quand j'ai vu un bébé à la télévision, j'avais le sentiment de vouloir avoir un enfant ou une famille à moi\", affirme -t-il. Et les moudjahidin devaient lire leurs notes devant leur commandant et leurs camarades lors de la réunion quotidienne. Lire aussi: Kenya : pas de sexe avant les résultats des élections La Haute Cour de Harare a interdit les châtiments corporels contre les enfants \"C'est très dur pour une personne\", estime Heyrany. Maintenant, il compare le camp MEK de Manze à Animal Farm, la critique de George Orwell de l'ère stalinienne en URSS. \"C'est une secte\", dit-il simplement. Une source diplomatique de Tirana a décrit la MEK comme \"un groupe culturel unique, non pas une secte\". La BBC n'a pas été en mesure de faire réagir la MEK, parce que l'organisation a refusé nos demandes d'interview. Mais en Albanie, une nation qui a enduré un régime communiste fermé et punitif pendant des décennies, il y a une certaine sympathie pour la position des dirigeants de la MEK, au moins en ce qui concerne l'interdiction des relations personnelles. \"Dans des situations extrêmes, on fait des choix extrêmes \", suggère Diana Culi, écrivaine, militante des femmes et ancienne députée du Parti socialiste au pouvoir. \"Ils ont juré de lutter toute leur vie pour la libération de leur pays d'un régime totalitaire. Parfois, nous avons de la difficulté à accepter une croyance forte en une cause. C'est un sacrifice personnel, et c'est une mentalité que je comprends\", explique -t-elle. Des gardes féminines au siège de la MEK en Albanie Malgré cela, certains Albanais craignent que la présence de la MEK ne menace la sécurité nationale. Deux diplomates iraniens ont été expulsés à la suite d'allégations de complots violents contre les moudjahidin, et l'Union européenne a accusé Téhéran d'être derrière des complots visant à assassiner des opposants au régime, dont des membres de la MEK, sur le sol néerlandais, danois et français. L'ambassade d'Iran à Tirana a refusé la demande d'interview de la BBC. Une source très bien introduite au sein du Parti socialiste est également \"préoccupée\" par le fait que les services de renseignement n'ont pas la capacité de surveiller plus de 2.500 membres de la MEK ayant une formation militaire. \"Quelqu'un doté d'un cerveau n'aurait pas accepté leur présence ici\", dit-il. Lire aussi: Au Kenya, une recommandation pour reconnaître un 3ème sexe La révolution féminine à Nairobi Un diplomate confie que certains des \"dissidents\" travaillent certainement pour l'Iran. Gholam Mirzai et Hassan Heyrany ont eux-mêmes été accusés par la MEK d'être des agents de Téhéran. C'est une accusation qu'ils nient. Les deux hommes sont désormais tournés vers l'avenir. Avec l'aide de sa famille en Iran, Heyrany a ouvert un café et fréquente une Albanaise. A 40 ans, il est plus jeune que la plupart de ses collègues cadres et reste optimiste. Lire aussi: Burundi : un recensement controversé Malawi : rites initiatiques sexuels à risques La situation de Gholam Mirzai est plus précaire. Sa santé est préoccupante. Il marche en boitant après avoir été touché dans l'un des bombardements du camp MEK en Irak , et il est à court d'argent. Les erreurs commises dans sa vie le tourmentent surtout lorsqu'il est entré en contact avec sa famille. Quand Mirzai est parti en guerre contre l'Irak en 1980, il avait un fils d'un mois. Après la fin de la guerre Iran/Irak, sa femme et d'autres membres de sa famille sont allés le chercher au camp MEK en Irak . Mais la MEK a renvoyé sa famille et ne lui a rien dit de leur visite. Le sexagénaire n'a jamais su qu'il était un père mais aussi un mari qui manquait à sa famille, jusqu'à ce qu'il entre pour la première fois en contact avec elle après 37 ans de silence. \"Ils ne m'ont pas dit que ma famille était venue me chercher en Irak. Ils ne m'ont rien dit sur ma femme et mon fils \", déplore -t-il. \"Toutes ces années, j'ai pensé à ma femme et à mon fils. Peut-être qu'ils sont morts à la guerre... Je ne savais pas\", assure l'ancien combattant. Gholam Mirzai vit à Tirana Le fils qu'il n'a pas vu en chair et en os depuis qu'il est tout petit a presque 40 ans maintenant. Et Mirzai affiche fièrement une photo de cet homme aujourd'hui adulte sur son profil WhatsApp. Mais la reprise des contacts a été douloureuse aussi. \"J'étais responsable de cette situation, la séparation. Je ne peux pas trop dormir la nuit parce que je pense à eux. Je suis toujours nerveux, en colère. J'ai honte de moi \", dit Mirzai. Il n'a plus qu'un seul désir maintenant. \"Je veux retourner en Iran, vivre avec ma femme et mon fils. C'est mon souhait.\" Gholam Mirzai s'est rendu à l'ambassade d'Iran à Tirana pour demander de l'aide, et sa famille a fait pression sur les autorités à Téhéran. Il n'a pas eu de réponse. Il attend donc, sans citoyenneté, sans passeport et rêvant d'un foyer."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52014573", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52024079", "doc1": "সুরক্ষা সরঞ্জামাদির উৎপাদন বাড়াতে জি-টুয়েন্টিভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরো এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়, আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, \"এখনো এর গতিপথ পাল্টে\" দেয়া সম্ভব। তিনি দেশগুলোকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। \"আমরা কী পদক্ষেপ নেই সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটা ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না। প্রতিরক্ষার সাথে সাথে আক্রমণও করতে হবে।\" ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে \"কিক আউট করোনাভাইরাস\" বা \"করোনাভাইরাসকে দূর কর\" -এমন একটি কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিফার প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফানটিনোর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ড. টেড্রোস বলেন, মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, \"এটা জিততে সাহায্য করবে না।\" করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশগুলোকে \"আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ\" নেয়ার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস। \"জয় পেতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে-প্রতিটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও যত্নে রাখতে হবে, আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।\" বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. টেড্রোস। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বা পিপিই পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা। \"স্বাস্থ্যকর্মীরা তখনই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন যখন তারা নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারবেন,\" তিনি সতর্ক করে বলেন। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? \"আমরা যদি অন্য সবকিছুই ঠিক ঠাক করি কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করি, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে কারণ যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সেবা দিতো তারাই অসুস্থ।\" তিনি বলেন, পিপিই-কে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করছে। একই সাথে বিশ্বজুড়ে এর সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান \"আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সমন্বয়ের\" আহ্বান জানান এবং বলেন যে, চলতি সপ্তাহে জি-২০ জোটভুক্ত নেতাদের তিনি আহ্বান জানাবেন তারা যাতে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদন বাড়ায় এবং সেগুলো রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। সেই সাথে এসব সরঞ্জামের বণ্টন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ারেন্টিনে ইতালির বাঙ���গালিরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপের লড়াই শক্তিশালী হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার রাতে ঘোষণা দেন যে, \"সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া... মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হবে না।\" এগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা, প্রতিদিন এক ধরণের ব্যায়াম করা, যেকোন চিকিৎসা সেবার জন্য এবং ঘরে থেকে কাজ করা সম্ভব না হলে কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষজন বের হতে পারবে। সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৩৩৫ জন মারা গেছে। বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬০২ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০৭৭ জনে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের পর এই প্রথম এক দিনে কমসংখ্যক মানুষ মারা গেল। ধারণা করা হচ্ছে যে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা কাজ করতে শুরু করেছে। স্পেনে এক দিনে মারা গেছে ৪৬২ জন যা মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮২ জনে-সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ২৭% বেশি। ফ্রান্সে নতুন করে মারা যাওয়া ১৮৬ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৮৬০ জন। সেখানে মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কঠোর করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শরীর চর্চার মতো কার্যক্রম কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে এবং খোলা বাজার বন্ধ করা হয়েছে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য ডিক পাউন্ড বলেছেন যে. করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পেছানো হতে পারে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এনিয়ে কোন ঘোষণা দেয়নি আইওসি। আপনিও এসব ভুল করছেন না তো? খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছে আইওসি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা বলেছে যে তারা জাপানে এই গ্রীষ্মে খেলায় অংশ নেবে না এবং গ্রেট ব্রিটেনও বলেছে যে তারাও হয়তো কোন দল পাঠাতে পারবে না। অন্যান্য দেশের অবস্থা কেমন •যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮১ জন মারা গেছে এবং রাজ্য ও শহরের গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চেয়েছে। •প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্য যথা- ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। •ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বুধবার ভোর থেকেই সব ধরণের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। •দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলেছে যে বৃহস্পতিবার থেকে ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর ���রবে তারা। •মহামারি ঠেকাতে একটি \"বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির\" আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংঘাত চলতে থাকলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষ-\"নারী ও শিশু, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু ও বাস্তুচ্যুতদেরকেই\" সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে।", "doc2": "Le chef de l'OMS a exhorté le G20 à stimuler la production d'équipements de protection Il a fallu 67 jours à compter du premier cas de Covid-19 pour atteindre la barre 100 000 cas, 11 jours pour le deuxième cap de 100 000 et seulement quatre jours pour le troisième bond 100 000. Mais le directeur général de l'OMS, Tedros Adhanom Ghebreyesus, a déclaré qu'il était encore possible de \"changer la trajectoire\". Il a exhorté les pays à prendre des mesures rigoureuses et à adopter des stratégies de recherche des contacts. \"Ce qui compte le plus, c'est ce que nous faisons\". \"Vous ne pouvez pas gagner un match de football en défendant. Vous devez également attaquer\", a-t-il déclaré lors d'une conférence de presse conjointe avec le président de la FIFA, Gianni Infantino, pour lancer une campagne de \"lutte contre le coronavirus\" mettant en vedette des footballeurs. Dr Tedros a déclaré que demander aux gens de rester à la maison et d'autres mesures physiques de distanciation étaient un moyen important de ralentir la propagation du virus, mais les a décrites comme \"des mesures défensives qui ne nous aideront pas à gagner\". \"Pour gagner, nous devons attaquer le virus avec des tactiques agressives et ciblées - tester chaque cas suspect, isoler et prendre soin de chaque cas confirmé, rechercher et mettre en quarantaine tous les contacts étroits.\" Dr Tedros a exprimé son inquiétude face aux informations du monde entier faisant état d'un grand nombre d'infections parmi le personnel de santé, qui semblaient résulter d'une pénurie d'équipements de protection individuelle adéquats. \"Les agents de santé ne peuvent faire leur travail efficacement que s'ils peuvent le faire en toute sécurité\", a-t-il averti. \"Même si nous faisons tout le reste correctement, si nous ne donnons pas la priorité à la protection des agents de santé, de nombreuses personnes mourront parce que l'agent de santé qui aurait pu leur sauver la vie est malade.\" Il a déclaré que l'OMS a travaillé avec ses partenaires pour rationaliser et prioriser l'utilisation des équipements de protection, et pour remédier à la pénurie mondiale. Mais il a précisé: \"les mesures mises en place pour ralentir la propagation du virus peuvent avoir des conséquences involontaires et aggraver la pénurie d'équipements de protection et des matériaux nécessaires à leur fabrication\". Le chef de l'OMS a appelé à \"un engagement politique et à une coordination politique au niveau mondial\". Il a précisé qu'il demanderait cette semaine aux dirigeants du groupe des nations du G20 de travailler ensemble pour stimuler la production d'équipements de protection, éviter les interdictions d'exportation et assurer l'équité de la distribution en fonction des besoins."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50531918", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-53410740", "doc1": "বিহারের ভাগলপুরে এমনকি ছিচকে চোরদেরও ধরে থানায় নিয়ে চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে অন্ধ করে দেওয়া হতো ১৯৮০ সালের ভারত। বিহার রাজ্যের ছোটো একটি শহর ভাগলপুরের পুলিশ ছিঁচকে অপরাধীদের শিক্ষা দিতে নির্যাতনের যে পথ নিয়েছিল তাতে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল পুরো দেশতো বটেই, একই সাথে বাকি বিশ্বও। প্রায় ৪০ বছর পর বিবিসির ইকনুর কৌর কথা বলেছেন 'অপারেশন গঙ্গাজল' নামে কুখ্যাত ঐ পাশবিক পুলিশী নির্যাতনের কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এবং এক ভুক্তভোগীর সাথে। ভাগলপুরের ঐ পুলিশী পাশবিকতা নিয়ে ২০১৭ সালে তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন অমিতাভ প্রসার। ১৯৮০ সালে তিনি ছিলেন বয়সে কিশোর, স্কুলের ��াত্র। বিবিসির কাছে একদিনকার এক দৃশ্যের স্মৃতিচারণ করছিলেন মি. প্রসার। \"১৯৮০ সালে আমি একদিন স্কুলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম রাস্তায় একটি লোক যন্ত্রণায় ছটফট করছে এবং চিৎকার করে মানুষজনের কাছে সাহায্য চাইছে। আশপাশে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে, কিন্তু কেউই এগুচ্ছে না। কাছে গিয়ে দেখলাম মানুষটার দুটো চোখের জায়গায় গর্ত। দরদর করে রক্ত বেরুচ্ছে।\" \"পরে শুনলাম পাশের থানার পুলিশ অ্যাসিড দিয়ে তাকে অন্ধ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে।।\" ১৯৮০ সালে ভাগলপুরে অপরাধীদের ধরে এনে অন্ধ করে দেওয়ার যে নীতি স্থানীয় পুলিশ নিয়েছিল, তার শিকার ৩৩ জনের একজন ছিল ঐ ব্যক্তি। অ্যাসিডে দগ্ধ চোখ (ফাইল ফটো) অমিতাভ প্রসারের বয়স ছিল মাত্র ১৩। \"ঐ বয়সে তখন আমি ঠিক বুঝতে পারিনি কত বড় ইস্যু ছিল এটি। আমরা শিশু কিশোররা তখন শুনতাম পুলিশ এলাকার একজন কুখ্যাত ডাকাতকে শাস্তি দিয়ে কী সাংঘাতিক ভালো কাজ করেছে। আমার মনে আছে লোকটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল, আর মানুষজন যেন তার ঐ যন্ত্রণা দেখে মজা পাচ্ছিল।\" ১৯৮০ সালের দিকে বিহারে অপরাধ বাড়ছিল। তা দমনে ভাগলপুরের পুলিশ বিচার-বহির্ভূত পাশবিক এক নির্যাতনের পথ নিয়েছিল। সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারের জন্য আদালতে না পাঠিয়ে তাদের দুই চোখে অ্যাসিড ঢেলে সারাজীবনের মত তাদের অন্ধ করে দিচ্ছিল । এক তরুণ আইনজীবীর লড়াই রামকুমার মিশ্র ছিলেন সে সময় ভাগলপুর আদালতের একজন তরুণ আইনজীবী। বিবিসিকে তিনি বলেন কীভাবে একদিন তিনি সেই ভয়াবহ নির্যাতন সম্পর্কে জানতে পারলেন। \"আমি একদিন আদালতে দেখলাম দুটো লোকের চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। শুনলাম তাদের দুজনের চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে।\" \"আমি দেখলাম তাদের দুই চোখেই গর্ত, এবং সেখান থেকে রক্ত বেরুচ্ছে। তারা আমাকে বললো, পুলিশের সাথে একজন ডাক্তার ছিল যে তাদের চোখে সাইকেলের চাকার স্পোক ঢুকিয়ে দেয়। তারপর অ্যাসিড ঢেলে নিশ্চিত করে যে তারা অন্ধ হয়েছে।\" ঐ দুজনকে দেখার পর রামকুমার মিশ্র ভাগলপুরের সবগুলো পুলিশ স্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার এমন আরো মানুষকে দেখতে পান। \"১৯৮০ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে অগাস্ট মাস পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটেছে, এবং সে সময় আমি নির্যাতনের শিকার অনেক মানুষকে দেখেছি।\" মি. মিশ্র নির্যাতনের শিকার এমন ৩৩ জনের পক্ষে মামলা ল��়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। বিহার পুলিশের অপারেশন গঙ্গাজলের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। স্পোক দিয়ে খুচিয়ে তারপর অ্যাসিড প্রথম দিকে যে কজনকে এভাবে অন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের একজন ছিলেন উমেশ যাদব। পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে ধরেছিল। বিবিসিকে মি. যাদব বলেন সেদিনের কথা। \"তখন আমার বয়স ছিল ২০। একদিন আমি বাড়ির দিকে যাচিছলাম। হঠাৎ দেখলাম কজন পুলিশ আমাকে অনুসরণ করছে। ভয়ে আমি সাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলাম। একসময় পুলিশ আমাদের ধরে এমন মারা মারলো যে একসময় আমার প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ার জোগাড় হলো।\" এরপর তরুণ উমেশ যাদবকে থানায় নেওয়ার পর চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। \"থানার ডেপুটি সুপার আমার চোখে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছি। আমি ব্যথায় চিৎকার করতে করতে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। \" ধরার পর সন্দেহভাজন অপরাধীদের কারাগারে নেওয়া হতো না সেসময়। ভাগলপুর পুলিশ শহরের এক কোনায় একটি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেখানে একজন ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে তারা সেসব অপরাধীদের অন্ধ করে দিত। আইনজীবী রামকুমার মিশ্র বলেন, কারাগারে আনার আগেই তাদের সন্দেহভাজন অপরাধীদের ভিন্ন ভিন্ন পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে অন্ধ করে দেয়া হয়েছে। \"তাছাড়া, অমরপুর নামে একটি এলাকায় অন্ধ করার জন্য একটি আলাদা ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল।\" চোখে 'গঙ্গার পবিত্র জল' পুলিশের হাতে অন্ধত্বের শিকার উমেশ যাদব বলেন, তাকে অন্ধ করার পর আরো অনেককে একইভাবে অন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তাকে অন্ধ করার পরপরই আরো নয়জনকে ধরে আনা হয়েছিল এবং তারাও অন্ধ হয়ে যায়। আইনজীবী মি মিশ্রের মত উমেশ যাদবও একই ব্যাখ্যা দিলেন। প্রথমে সাইকেলের চাকার স্পোক চোখে ঢুকিয়ে ফুটো করা হতো। তার সেই ফুটো দিয়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হতো। উমেশ যাদব বললেন, অ্যাসিড চোখে ঢালার আগে পুলিশ বলতো 'এবার তোকে পবিত্র জল দেওয়া হবে।' \"তারা (পুলিশ) বলতো এই গঙ্গা জল দেওয়ার পর যন্ত্রণা কমে যাবে। আসলে তারা অ্যাসিড ঢালতো যাতে আমরা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাই।\" শ্রীনগরে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি (ফাইল ফটো)। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ভারত শাসিত কাশ্মীরে ভাগলপুর পুলিশ তাদের এই অমানবিক নির্যাতনকে ইতিবাচক ইমেজ দেওয়ার জন্য অভিযানের নাম দিয়েছিল 'অপারেশন গঙ্গাজল'। \"ব্যাপারটা এমন যেন পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে কোনো কিছু পবিত্র করা হয় তেমনি অ্যাসিড ব্যবহার করে পুলিশ সমাজ থেকে অপরাধ, অন্যায় ধুয়ে দিচ্ছে,\" বলছিলেন আইনজীবী রামকুমার মিশ্র। ১৯৮০ সালের মে মাসে ঐ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠির সূত্র ধরে মামলা রুজু হয়ে তদন্ত শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে বিহারের ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এতদূর এগুতে অনেক ঝামেলা, হুমকি-ধমকি সহ্য করতে হয়েছে মি. মিশ্রকে। আরো পড়তে পারেন: ইন্টারনেটে এক শিক্ষকের আইএস বিরোধী লড়াই ইরাকি বাহিনী যখন কুয়েত দখল করে নিয়েছিল বার্লিন দেয়াল পতন যেভাবে বদলে দিয়েছিল পৃথিবী বিহারের ভাগলপুরে থানায় নিয়ে চোখে অ্যাসিড ঢেলে চিরতরে অন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ত্রিশেরও বেশি লোককে (ফাইল ফটো) \"পুলিশ আমাকে অনেক হুমকি দিয়েছে। একদিন একদল পুলিশ আমাকে জোর করে একটি হোটেলে ঢোকায়। আমার দিকে রিভলবার তাক বলে একজন বলে, তোমাকে এখন মেরে ফেলবো। আমি বললাম ঠিক আছে মেরে ফেল।\" \"আমার স্ত্রী সবসময় খুব উদ্বেগে থাকতো। আমাকে বলতো - তুমি করছো কী। কেন করছো। শুধু আমার বাবা আমাকে বলতো, তুমি যদি বিশ্বাস করো এই কাজ তোমার করা উচিৎ, তুমি করো।\" রামকুমার মিশ্র বললেন, এই নির্যাতন যে পুলিশ একাই নিজেদের সিদ্ধান্তে করেছিল, তা নয়। এর পেছনে রাজ্য সরকারের নেতৃস্থানীয়দের সায় ছিল। \"মুখ্যমন্ত্রী, বিচার বিভাগ, পুলিশ সবারই এতে হাত ছিল, এবং তারা সবাই মিলে একে অপারেশন গঙ্গাজল নামকরণ করেছিল।\" চরম ক্ষুব্ধ ইন্দিরা গান্ধী ভাগলপুরের এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর, ভারতের লোকসভায় তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংসদে আবেগময় কণ্ঠে এক বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি বলেন, এই ঘটনার কথা শুনে তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। তবে ভাগলপুরের সিংহভাগ মানুষের এ নিয়ে কোনো অনুতাপ ছিলনা। তাদের কথা ছিল- অপরাধীদের শিক্ষা হওয়া উচিৎ। \"আমি যখন বাজারে যেতাম। সবাই আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলতো দেখ দেখ এই সেই উকিল। এই লোকই এই শহরের সর্বনাশ করছে। পুলিশ অপরাধীদের অন্ধ করছে, কিন্তু এই উকিল সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করেছে।\" \"আমি যেন একঘরে হয়ে পড়েছিলাম। একমাত্র আমার বাবা ছাড়া আমার পাশে কেউই ছিল না।\" পুনে শহরে বধিরদের একটি বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ। (ফাইল ফটো)। ভারতে পুলিশের বিরুদ���ধে নির্যাতনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তদন্তের পর ১৫ জন পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাদেরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদালত নির্দেশ দেয় অন্ধ করে দেওয়া লোকগুলোর প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রতি মাসে সাড়ে সাতশ রুপি করে পেনশন দিতে হবে। কিন্তু তারপর কী বিহারে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন বন্ধ হয়েছিল? \"তারপরও অপরাধীদের অন্ধ করে দেওয়ার চল পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখনও এটা চলছে,\" বিবিসিকে বলছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা অমিতাভ প্রসার। ২০১৭ সালে তিনি ভাগলপুরের বিষয়টি নিয়ে 'আইজ অব ডার্কনেস' নামে একটি তথ্যচিত্র বানান। জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে সেটি। \"এত বছর পরও ঐ ঘটনা আমি মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনি। ঐ যে দৃশ্য আমি কিশোর বয়সে দেখেছিলাম তা এখনও আমাকে তাড়া করে।\" ঐ পাশবিকতার শিকার হয়েছিলেন যে ৩৩ জন, তাদের ১৮ জন দারিদ্রে ভুগে মারা গেছেন। বাকিরা টিকে থাকার জন্য প্রাণপণে লড়াই করছেন। তাদের একমাত্র সম্বল মাসে সাড়ে সাতশ রুপির পেনশন। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্রে হাঙর ধরায় আগ্রহী কেন? মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের নিরাময় কেন্দ্রে গিয়েই পরিচয় মাদকের সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম রায়ে পুলিশের শাস্তি", "doc2": "Funke Oshonaike, 45 ans, a commencé à jouer au tennis de table à l'âge de 14 ans \"Chaque fois que j'entends la nouvelle d'un viol, cela me ramène à mon passé. J'ai été physiquement et sexuellement abusée. C'est mon vécu personnel\", déclare la championne. Le Nigeria est un pays qui s'intéresse sérieusement aux agressions sexuelles et à la façon dont les femmes sont traitées. Et, parmi celles qui parlent pour la première fois de ce qu'elles ont vécu, il y a Funke Oshonaike, six fois championne olympique de tennis de table. Oshonaike a été inspirée de raconter son histoire après le viol et le meurtre d'Uwa Omozua, une Nigériane de 22 ans, dans une église de Benin City. Omozua a été retrouvée morte, à moitié nue, dans l'église, ce qui a déclenché des protestations dans tout le Nigeria, de nombreux nigérians réclamant justice. Oshonaike dit que l'histoire d'Omozua a fait remonter à la surface des souvenirs de son propre traumatisme d'avoir été agressée sexuellement à l'âge de 19 ans, par un homme de 10 ans plus âgé qu'elle. Lire aussi : \"C'était un ami - j'étais naïve\", se souvient-elle. \"Quand il s'est mis en colère, il m'a battue. Il utilisait ses deux pouces pour m'appuyer sur les yeux... Et il m'a abusée sexuellement. Je me sentais impuissante, avec du sang partout sur moi... Je ne savais pas que ça s'appelait un viol. Tout ce que je savais, c'est que je me sentais sale\", témoigne l'athlète. Funke Oshonaike veut être un modèle pour les autres femmes victimes d'abus sexuels \"Il avait le contrôle total\" Oshonaike a commencé à jouer au tennis de table à l'âge de 14 ans et, deux ans plus tard, elle a intégré l'équipe du Nigeria pour les Jeux africains de 1991. Mais ses premiers Jeux olympiques ont eu lieu à Atlanta en 1996, date à laquelle les abus ont commencé. \"J'étais à l'université de Lagos - j'allais à l'école avec des bleus sur tout le corps et les gens se demandaient ce qui n'allait pas chez moi\", dit-elle. \"Mais je ne pouvais le dire à personne. Je me sentais hypnotisée. J'étais une esclave entre ses mains\", raconte la championne. Les sévices ont eu lieu alors qu'Oshonaike était en pleine compétition et remportait des championnats nationaux. Mais malgré l'attention portée sur elle, elle s'est trouvée incapable d'échapper à son calvaire. Sa situation était aggravée par le fait que l'homme avait une mainmise totale sur ses revenus et ses comptes bancaires. Chaque fois qu'elle voulait partir et réclamait son argent, elle finissait par être battue et couverte de bleus. \"Il m'a dit de lui donner tous mes gains. Mon compte en banque était à son nom\", dit-elle. \"Chaque fois que j'essayais de m'enfuir, je demandais mon argent\" - mais il refusait de le lui donner. \"J'étais la championne nigériane à cette époque, mais je n'étais pas assez forte pour le dire à qui que ce soit. J'allais dans mon petit coin et je pleurais. Parfois, j'avais envie de me suicider\", explique Oshonaike. La riposte Mais Oshonaike a dit qu'elle avait trouvé le courage de survivre et qu'elle savait qu'elle ne pouvait pas abandonner. Elle devait poursuivre son rêve de devenir une star du tennis de table. \"J'ai tout perdu à cause de cet homme. Mais je me suis battue et je me suis remise sur pied\", ajoute-t-elle. \"Dieu m'a permis de continuer. Les histoires d'Oprah Winfrey et de Joyce Meyer m'ont permis de continuer à vivre. J'ai recommencé ma vie à zéro\", affirme-t-elle. Funke Oshonaike a participé à six Jeux olympiques pour le Nigeria Porte-drapeau de l'équipe du Nigeria aux derniers Jeux olympiques, en 2016 à Rio, Oshonaike a subi les conséquences de ce qui s'est passé bien après qu'elle ait finalement quitté son agresseur. \"Le traumatisme est resté en moi pendant des années et a affecté ma vie sexuelle et mon mariage\", dit-elle. \"Je viens juste de retrouver ma santé mentale\", déclare Oshonaike. La femme de 45 ans a attribué l'incapacité des femmes à parler de leurs abus sexuels passés au fait que le sujet reste tabou et à l'absence de réseaux sociaux. \"À l'époque où nous n'avions pas de réseaux sociaux, les femmes n'osaient pas s'exprimer. Je ne comprenais pas ce qu'il me faisait. Je n'ai réalisé que récemment qu'il s'agissait d'un viol\", dit-elle. Oshonaike dit qu'elle est maintenant un modèle pour les autres femmes qui sont victimes d'abus sexuels. Elle est déterminée à faire en sorte que les femmes reprennent leur pouvoir après une expérience aussi traumatisante. \"Tout ce que j'ai vécu a fait de moi un mentor pour les autres. Je suis capable de partager mes histoires avec des femmes qui ont été victimes et de les encourager à ne pas se laisser aller\", affirme-t-elle. \"J'espère que davantage de femmes auront l'audace de se manifester et de s'exprimer. Je suis une survivante\", témoigne Oshonaike."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/55882684", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55839975", "doc1": "অং সান সু চি বিতর্কিত একটি নির্বাচন নিয়ে বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পর এই অভ্যুত্থান ঘটলো। গ্রেফতারের পর মিলিটারি টিভি নিশ্চিত করে যে, দেশটিতে এক বছরের জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সোমবার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং লাইংয়ের কাছে হস্তান্তর করছে। মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত যা ২০১১ পর্যন্ত শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। মিস সু চি অনেক বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেন। সোমবার নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা ছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। রাজধানীতে সেনা টহল রাজধানী নেপিডো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং কিছে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে যে তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। আরো পড়ুন: বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড জানিয়েছেন, যদিও গত সপ্তাহ সামরিক বাহিনী সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে তার পরও এটাকে পুরো মাত্রায় সামরিক অভ্যুত্থান বলেই মনে হচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় আগে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে পারে তারা। কিন্তু মিস সু চির মতো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার ঘটনা উস্কানিমূলক এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পদক্ষেপ তীব্র বাঁধার মুখে পড়বে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। এনএলডি মুখপাত্র মিও নয়েন্ট রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানায়, প্রেসিডেন্ট মিন্ট এবং অন্যান্য নেতাদের ভোরে আটক করা হয়। ''আমি জনগণকে বেপরোয়া কিছু না করার অনুরোধ করছি, আমি চাই তারা আইন মেনে চলবে,'' মিও নয়েন্ট রয়টার্সকে বলেন। নির্বাচনে কী হয়েছিল? গত ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩% আসন পায় যাকে মিস সু চির বেসামরিক সরকারের প্রতি সর্বসাধারণের অনুমোদন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় বার নির্বাচন ছিল মাত্র। তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ইলেক্টোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সম্প্রতি সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আইসিজের শুনানিতে উপস্থিত অং সান সু চি। সু চি কে? মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের মেয়ে অং সান সু চি। তার যখন দুই বছর বয়স তখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র দুই বছর পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। মিস সু চিকে একসময় মানবাধিকারের বাতিঘর বলা হত- যিনি একজন নীতিবান অধিকারকর্মী হিসেবে দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতায় থাকা নির্দয় সামরিক জেনারেলদের ���্যালেঞ্জ করতে নিজের স্বাধীনতাকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেয়া হয় এবং তাকে \"ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতার অনন্য উদাহরণ\" হিসেবে সম্বোধন করা হতো। তখনও তিনি গৃহবন্দীই ছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অন্তত ১৫ বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছেন মিস সু চি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার অনুষ্ঠিত অবাধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি'র নেতৃত্ব দেন এবং যাতে বড় ধরণের জয় পান তিনি। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি কারণ তার সন্তানেরা বাইরের দেশের নাগরিক। তবে ৭৫ বছর বয়সী সু চি একজন ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবেই সুপরিচিত। তবে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার নেতৃত্বকে দেশটিতে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি হওয়া আচরণ দিয়েই বর্ণনা করা হয়। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ স্টেশনে প্রাণঘাতী হামলার পর রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে মিস সু চির সাবেক আন্তর্জাতিক সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তিনি ধর্ষণ, হত্যা এবং সম্ভাব্য গণহত্যা রুখতে কোন পদক্ষেপ নেননি এবং ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর নিন্দা কিংবা তাদের নৃশংসতার মাত্রাও স্বীকার করেননি। প্রাথমিকভাবে অনেকেই তার পক্ষে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করে বলেছেন যে, তিনি একজন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ যিনি বহু-জাতি বিশ্বাসের সম্প্রদায়ভুক্ত একটি দেশ শাসন করছেন যার জটিল ইতিহাস রয়েছে। তবে ২০১৯ সালে হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপের বিষয়ে তার নিজের স্বপক্ষে উপস্থাপিত যুক্তি মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এর পর তার আন্তর্জাতিক সুনাম বলতে তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকে না। দেশের ভেতরে \"দ্য লেডি\" নামে পরিচিত মিস সু চি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় যারা রোহিঙ্গাদের প্রতি তেমন সহানুভূতিশীল নয়।", "doc2": "Le commandant en chef Min Aung Hlaing, nouvel homme fort du pays La télévision militaire annonce que l'état d'urgence avait été déclaré pour un an et que le pouvoir a été transféré. Ce coup d'État intervient après que les tensions entre le gouvernement civil et l'armée se sont accrues à la suite d'une élection contestée. Le Myanmar, également connu sous le nom de Birmanie, était dirigé par l'armée jusqu'au début des réformes démocratiques en 2011. Lundi, l'armée annonce qu'elle transfère le pouvoir au commandant en chef Min Aung Hlaing en raison de \"fraude électorale\". Les soldats sont dans les rues de la capitale, Nay Pyi Taw, et de la ville principale, Yangon. Lors des élections de novembre, la Ligue nationale pour la démocratie (NLD) de Mme Suu Kyi a remporté suffisamment de sièges pour former un gouvernement. Que s'est-il passé lors de l'élection ? Aung San Suu Kyi La LND a remporté 83 % des sièges disponibles lors des élections du 8 novembre, dans ce que beaucoup considèrent comme un référendum sur le gouvernement civil de Mme Suu Kyi. C'était seulement la deuxième élection depuis la fin du régime militaire en 2011. Mais les militaires ont contesté le résultat, déposant des plaintes à la Cour suprême contre le président et le président de la commission électorale. Les craintes d'un coup d'État ont augmenté après que les militaires ont récemment menacé de \"prendre des mesures\" en raison d'une fraude présumée. La commission électorale a rejeté ces allégations. Réactions internationales Les États-Unis condamnent le coup d'État, déclarant que Washington \"s'oppose à toute tentative visant à modifier le résultat des récentes élections ou à entraver la transition démocratique du Myanmar\".Le secrétaire d'État américain Antony Blinken appelle à la libération de tous les responsables gouvernementaux et des leaders de la société civile et indique que les États-Unis \"sont aux côtés du peuple birman dans ses aspirations à la démocratie, à la liberté, à la paix et au développement\". L'armée doit annuler ces actions immédiatement\". En Australie, la ministre des affaires étrangères, Marise Payne, \"invitent les militaires à respecter l'État de droit, à résoudre les différends par des mécanismes légaux et à libérer immédiatement tous les dirigeants civils et autres qui ont été détenus illégalement\". Quelle est la situation sur le terrain ? Les connexions internet mobiles et certains services téléphoniques sont interrompus dans les grandes villes, tandis que le diffuseur public MRTV déclare avoir des problèmes techniques et ne diffuse plus.Les communications avec Nay Pyi Taw sont coupées et il est difficile d'évaluer la situation sur place.Dans la plus grande ville du pays et dans l'ancienne capitale Yangon, les lignes téléphoniques et la connectivité Internet semblent limitées, de nombreux fournisseurs ayant coupé leurs services.La BBC ainsi que d'autres diffuseurs internationaux sont bloqués alors que les stations locales sont hors antenne.On a vu des gens faire la queue aux distributeurs de billets à Yangon, en prévision d'une pénurie de liquidités dans les jours à venir.Les banques ont temporairement arrêté tous les services financiers, selon l'Association des banques du Myanmar."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55170805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54736443", "doc1": "সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর ওই ব্যক্তি দেশটিতে 'লাভ-জিহাদ' নামে বিয়ের মাধ্যমে হিন্দু মেয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধে যে নতুন আইন হয়েছে, তার অধীনে প্রথম গ্রেপ্তারের ঘটনা এটি। সম্প্রতি হিন্দু-মুসলিম বিয়ে বন্ধ করার জন্য দেশটিতে ২৪শে নভেম্বর দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জামিন অযোগ্য--এমন বিধান রেখে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার একটি নতুন আইন পাস করে। সমালোচকেরা আইনটিকে ইসলামোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও আরো চারটি রাজ্যে 'লাভ-জিহাদ' বিরোধী আইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে। বুধবার উত্তর প্রদেশের বারিলি জেলার পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি টুইটারে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে। যে নারীকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল, তার বাবা বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, তিনি পুলিশে অভিযোগ করেছেন, কারণ ওই ব্যক্তি তার মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল, এবং হুমকি দিচ্ছিল। আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতে ম��সলমান ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বছরের শুরুতে তিনি অন্য একজন পুরুষকে বিয়ে করেন। পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, এক বছর আগে ওই নারীর পরিবার ওই মুসলমান ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেছিল। কিন্তু পরে ওই নারী ফেরত এসে যখন বলেন যে তাকে অপহরণ করা হয়নি, তখন মামলা বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ, এবং 'ওই নারীর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই'। লাভ-জিহাদ বিরোধী আইনটি কী? 'বলপূর্বক' বা 'জালিয়াতি' করে ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করার জন্য ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তর প্রদেশ নভেম্বরে এই আইন পাস করে। অর্ডিন্যান্সটিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ধর্মান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই বিয়ে 'শূন্য' বা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। যারা সেই ধর্মান্তর করাবেন, সেই দোষী ব্যক্তিদের আর্থিক জরিমানা ও সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হবে। আরো পড়তে পারেন: 'লাভ জিহাদ' : যোগীর আনা অর্ডিন্যান্সের তুলনা হিটলারের আইনের সঙ্গে ভারতে 'লাভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে আইন তৈরির উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে? ভারতে হিন্দু নারীর মুসলিম স্বামীদের হত্যার হুমকি তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' এর বিরুদ্ধে ভারতে আইন করা হচ্ছে অর্ডিন্যান্সটিকে সাধারণভাবে 'লাভ-জিহাদ বিরোধী' আইন বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে - যদিও লাভ জিহাদ শব্দ-বন্ধটি অর্ডিন্যান্সের খসড়াতে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। ভারতে মুসলিম যুবকরা যখন কোনও হিন্দু মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করতে যান, সেটাকে বিজেপি ও দেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ব-বাদী গোষ্ঠী অনেকদিন ধরেই 'লাভ জিহাদ' বলে বর্ণনা করে আসছে। এই মূহুর্তে মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং আসামও 'লাভ-জিহাদ' ঠেকানোর এই আইন পাসের পরিকল্পনা করছে। এই সব ক'টি রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, এবং তাদের বিরুদ্ধে মুসলমান-বিরোধী সেন্টিমেন্ট স্বাভাবিকীকরণের অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর।", "doc2": "Il est le premier à être arrêté en vertu d'une nouvelle loi anti-conversion qui vise le \"love jihad\" - un terme que les groupes hindous radicaux utilisent pour accuser les hommes musulmans de convertir des femmes hindoues par le mariage. Cette loi a suscité l'indignation, les critiques la qualifiant d'islamophobe. Au moins quatre autres États indiens sont en train d'élaborer des lois contre le \"love jihad\". La police du district de Bareilly, en Uttar Pradesh, confirme l'arrestation sur Twitter mercredi. Le père de la femme déclare à BBC Hindi qu'il a déposé une plainte parce que l'homme avait \"fait pression\" sur sa fille pour qu'elle se convertisse et l'a menacée si elle ne le faisait pas. La femme aurait eu une relation avec l'homme mais s'est mariée avec quelqu'un d'autre plus tôt cette année. La police informe que la famille de la femme a déposé une plainte pour kidnapping contre l'accusé il y a un an, mais l'affaire a été classée après qu'elle a été retrouvée et que l'accusation a été rejetée. Après son arrestation mercredi, l'homme a été envoyé en détention judiciaire pendant 14 jours. Il dit aux journalistes qu'il est innocent et qu'il n'a \"aucun lien avec la femme\". La nouvelle loi prévoit une peine d'emprisonnement pouvant aller jusqu'à 10 ans et les infractions à cette loi ne sont pas passibles de caution. Qu'est-ce que la loi du \"love jihad\" ? Les radicaux hindous sont les promoteurs de ce phénomène de \"Love Jihad\" En novembre, l'Uttar Pradesh est devenu le premier État à adopter une loi contre les conversions religieuses \"forcées\" ou \"frauduleuses\". Mais ce n'est peut-être pas le dernier car au moins quatre autres États - Madhya Pradesh, Haryana, Karnataka et Assam - annoncent qu'ils prévoient d'adopter des lois contre le \"love jihad\". Ces cinq États sont gouvernés par le parti au pouvoir, le Bharatiya Janata Party (BJP), qui est accusé de normaliser le sentiment anti-musulman. Lire aussi Les critiques l'ont qualifié de régressif et d'offensant, beaucoup craignant que ces lois ne conduisent à des abus et à du harcèlement, car le \"love jihad\" a toujours été considéré comme un terme utilisé par les groupes hindous radicaux de la marge droite. Ce n'est pas un terme officiellement reconnu par la loi indienne. Mais il fait la une des journaux ces derniers mois - en octobre, une marque de bijoux populaire a retiré une publicité mettant en scène un couple interconfessionnel après que l'extrême droite les a accusés de promouvoir le \"love jihad\". Et puis en novembre, les autorités ont accusé Netflix de la même chose, en pointant du doigt une scène de la série télévisée, A Suitable Boy, où une femme hindoue et un homme musulman s'embrassent alors que la caméra se déplace sur le fond d'un temple hindou. Le ministre de l'Intérieur du Madhya Pradesh, Narottam Mishra, estime que cette scène heurte les \"sentiments religieux\". Il a demandé aux fonctionnaires d'envisager une action en justice contre le producteur et le réalisateur de la série. Les critiques du BJP affirment que la polarisation religieuse s'est accrue depuis l'arrivée au pouvoir du Premier ministre Narendra Modi en 2014. Les mariages hindous-musulmans ont longtemps fait l'objet d'une censure en Inde, mais ce phénomène récent."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39120814", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-39051148", "doc1": "ফ্রান্সের নির্বাচনে ওবামাকে প্রার্থী করার জন্য চলছে প্রচারণা প্যারিসে এমনকি ওবামার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পোস্টার পর্যন্ত পড়ে গেছে। এতে শোভা পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ওবামার সেই জনপ্রিয় শ্লোগান, \"ইয়েস, উই ক্যান।\" প্রেসিডেন্ট ওবামা যেহেতু ফ্রান্সের নাগরিক নন তাই সেখানে তাঁর প্রার্থী হওয়ার কোন সুযোগই নেই। কিন্তু যারা এই প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা বলছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কেউই যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারছেন না সেটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণই তাঁদের লক্ষ্য। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২৩শে এপ্রিল। যদি কোন প্রার্থীই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তখন সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ফ্রান্সের নির্বাচনে কট্টর দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারিন লে পেন এখনো পর্যন্ত জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন। তবে ভোট যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে গ��়ায় তখন তিনি মধ্য দক্ষিণ পন্থী প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলন বা মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাকরনের কাছে হেরে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মারিন লে পেনকে কিভাবে ঠেকানো যায় সেটা নিয়ে নানা ধরণের কথাবার্তা চলছে ফ্রান্সে। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কাল্পনিক প্রার্থী করার আইডিয়াটা মূলত সেখান থেকেই এসেছে। ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ জনপ্রিয় এই প্রচারণার পেছনে যারা আছেন, তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করছেন না। একজন বলেছেন, তারা একটা কৌতুক হিসেবে এটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু অনেকে এটাকে আবার খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন যেটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। \"আমরা এটাকে একটা 'জোক' হিসেবেই রাখতে চাই।\"", "doc2": "Une pétition veut élire Obama président de la France Cette pétition disponible sur le site www.obama2017.fr souhaite réunir assez de signatures et de promesses de vote pour inciter Barack Obama à se présenter en mai prochain à l'élection présidentielle française. Les auteurs de la pétition imaginent passer à la 6e République et \"frapper un grand coup en élisant un Président étranger\". Pour occuper ce poste, Barack Obama a d'après eux \"le meilleur CV au monde\". Des affiches portant le slogan \"Oui on peut\" et Obama 2017 ont été placardées dans Paris, selon BFM TV. Le hashtag #Obama2017 invite les internautes à signer la pétition."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55041874", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55039165", "doc1": "সাধারণত যে টিকা আবিষ্কারে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেটা মাত্র ১০ মাসেই আবিষ্কার করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। ফাইজার ও মডার্না যখন দাবি করছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সাফল্য এক্ষেত্রে ৯৫%, তখন এই খবরটিকে একই সাথে হতাশাব্যঞ্জক এবং বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে অন্য টিকা দুটির তুলনায় অক্সফোর্ডের টিকাটি হবে অনেক সস্তা, সংরক্ষণ এবং দুনিয়ার প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দেয়া হবে অপেক্ষাকৃত সহজ। সুতরাং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যদি এই টিকা অনুমোদন করে, সেটি মহামারি মোকাবেলার ক্ষেত্রে এই টিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে যে ভ্যাকসিনটিকে আরো নিখুঁত করে তোলা গেলে এটিরও সাফল্যের হার বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। যুক্তরাজ্যের সরকার এর মধ্যেই অক্সফোর্ডের টিকার ১০ কোটির চাহিদা জানিয়েছে, যা দেশটির পাঁচ কোটি মানুষকে দেয়ার সুরক্ষা দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আরও পড়তে পারেন: অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলছেন, মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ সফলতা দেখতে পেয়েছেন। পরীক্ষায় কী দেখা গেছে? যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিল জুড়ে ২০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী অক্সফোর্ডের টিকার মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গবেষ��রা বলছেন, মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ সফলতা দেখতে পেয়েছেন। তবে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, স্বেচ্ছাসেবীদের একটি অংশের মধ্যে এই টিকার ৯০ শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে, যাদের প্রথমে টিকার অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়, পরে বাকিটা দেয়া হয়েছিল। কখন টিকা পাওয়া যাবে? যুক্তরাজ্যের জন্য এর মধ্যেই ৪০ লাখ টিকা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আরও নয় কোটি ৬০ লাখ টিকার সরবরাহ বাকী রয়েছে। তবে যে কর্তৃপক্ষ টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো, কার্যকারিতা এবং মাণের বিষয় তদারকি করে, সেই কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়ার পরেই এই টিকার ব্যবহার শুরু করা যাবে। তবে যুক্তরাজ্য একটি ব্যতিক্রমী ধরণের গণ টিকা কর্মসূচী শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেজন্য সর্দিকাশি বা শিশুদের টিকা দেয়ার যে বার্ষিক কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে, সেখানে কিছু কাটছাঁট করা হতে পারে। বয়স্ক সেবা কেন্দ্রের বাসিন্দা আর কর্মীরা সবার আগে টিকা পাবেন। এরপরেই পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৮৫ বছর বয়সের ওপরের ব্যক্তিরা। এরপরে বয়সের ধাপ অনুযায়ী বাকি সবাই টিকা পাবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আমেরিকায় নির্বাচন: ট্রাম্প কি এখনও ভোটের ফলাফল উল্টে দিতে পারেন আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে কী বিপদ হবে, সমাধান কী? চেনা যে একুশটি গাছ-পাতা-ফুল-ফলের রয়েছে রোগ সারানোর ক্ষমতা ব্যাংকে সাইবার হামলার আশংকা: কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে", "doc2": "C'est à la fois un triomphe et une déception après que le vaccins de Pfizer et de Moderna a montré une protection de 95 %. Cependant, le vaccin d'Oxford est beaucoup moins cher et il est plus facile à stocker et à transporter aux quatre coins du monde que les deux autres. Il continuera donc à jouer un rôle important dans la lutte contre la pandémie, s'il est approuvé par les autorités de réglementation. Des données intrigantes indiquent également que le perfectionnement de la dose pourrait accroître la protection jusqu'à 90 %. Les chercheurs d'Oxford ont mené à bien le processus qui dure normalement dix ans et qui consiste à développer un vaccin en une dizaine de mois. \"L'annonce d'aujourd'hui nous rapproche du moment où nous pourrons utiliser des vaccins pour mettre fin à la dévastation causée par [le virus]\", indique sa conceptrice le professeur Sarah Gilbert. Le gouvernement britannique a pré-commandé 100 millions de doses du vaccin d'Oxford, soit assez pour immuniser 50 millions de personnes. Qu'a montré l'essai ? Plus de 20 000 volontaires ont été impliqués, la moitié au Royaume-Uni, le reste au Brésil. Il y a eu 30 cas de Covid chez des personnes ayant reçu deux doses du vaccin et 101 cas chez des personnes ayant reçu une injection factice. Les chercheurs ont déclaré que le taux de protection était de 70 %. Lorsque les volontaires ont reçu deux doses \"élevées\", la protection était de 62 %, mais elle est passée à 90 % lorsque les personnes ont reçu une dose \"faible\" suivie d'une dose élevée. On ne sait pas très bien pourquoi il y a une différence. \"Nous sommes très satisfaits de ces résultats\", indique à la BBC le professeur Andrew Pollard, l'enquêteur principal de l'essai. Il a déclaré que les données sur l'efficacité à 90% étaient \"intrigantes\" et que cela signifierait \"que nous aurions beaucoup plus de doses à distribuer\". Quand l'aura-t-on ? Au Royaume-Uni, il y a quatre millions de doses prêtes à être utilisées, et 96 millions de doses supplémentaires doivent être distribuées. Mais rien ne peut se passer tant que le vaccin n'a pas été approuvé par les autorités chargées de la réglementation qui évalueront la sécurité et l'efficacité du vaccin, et que celui-ci est fabriqué selon des normes élevées. Ce processus se déroulera dans les semaines à venir. Toutefois, le Royaume-Uni est prêt à lancer une campagne de vaccination de masse sans précédent qui éclipse les programmes annuels de vaccination contre la grippe ou les programmes de vaccination des enfants. Les résidents et le personnel des maisons de soins seront les premiers à le recevoir, suivis par les agents de santé et les plus de 85 ans. Il est prévu de descendre ensuite dans les différentes tranches d'âge. Lire aussi Comment cela fonctionne-t-il ? Le vaccin est un virus du rhume génétiquement modifié qui infectait autrefois les chimpanzés. Il a été modifié pour éviter qu'il ne provoque une infection chez l'homme et pour porter les plans d'une partie du coronavirus, connue sous le nom de protéine de pointe. Une fois que ces plans sont à l'intérieur du corps, ils commencent à produire la protéine de pointe du coronavirus, que le système immunitaire reconnaît comme une menace et essaie d'écraser. Lorsque le système immunitaire entre réellement en contact avec le virus, il sait maintenant quoi faire. Les résultats sont-ils décevants ? Après que Pfizer et Moderna ont tous deux produit des vaccins offrant une protection de 95 % contre le Covid-19, un chiffre de 70 % est relativement décevant. Cependant, tout ce qui dépasse 50 % aurait été considéré comme un triomphe, il y a un mois à peine. Ce vaccin peut également être conservé à la température du réfrigérateur, ce qui signifie qu'il peut être distribué aux quatre coins du monde, contrairement aux vaccins Pfizer/BioNTech et Moderna, qui doivent être conservés à des températures beaucoup plus froides."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57144216", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57134363", "doc1": "ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি তরুণ প্রজন্ম সংঘাতের ছবি স্মার্টফোনে তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও অ্যাপ একসময় সুপরিচিতি ছিল ভাইরাল হওয়া নাচ-গানের ভিডিওর জন্য। নাচ-গানের ভিডিও শেয়ারের এই সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এখন ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের তরুণ প্রজন্মের জন্য খবর শেয়ার করার একটা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হয়ে উঠেছে। চীনা মালিকানাধীন এই সাইট তরুণদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী এই অ্যাপ সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে মাসে প্রায় ৭০ কোটি তরুণ। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া রকেটের ফুটেজ, ইসরায়েলি হামলায় গাযা বিধ্বস্ত হওয়ার এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের নানা ছবি এই সাইটে এখন ভাইরাল হয়েছে। এর মাধ্যমে সংঘাতের চিত্র দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। পাশাপাশি এমন উদ্বেগও বাড়ছে যে, সামাজিক মাধ্যম ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুয়া তথ্য বা উগ্রবাদ। আরও পড়তে পারেন: গাযা এবং ইসরায়েলের মধ্যে এটাই ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে তীব্র সহিংসতা। পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ার পটভূমিতে এবারের লড়াইয়ের সূত্রপাত। এই সংঘাত চরমে ওঠে যখন মুসলিম ও ইহুদী দুই ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র একটি স্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়। গাযা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস গোষ্ঠী ওই এলাকা থেকে ���হুদিদের সরে যাবার হুঁশিয়ারি দেবার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। ইসরায়েলও পাল্টা জবাবে বিমাান হামলা চালাতে শুরু করে। এমনকি সাম্প্রতিক লড়াই শুরুর আগেও ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে উত্তেজনার খবর টিকটক-এ ভাইরাল হতে শুরু করে। এপ্রিল মাসে পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দা দুই ফিলিস্তিনি তরুণের গণপরিবহনে দুজন কট্টরপন্থী ইহুদি তরুণকে চড় মারার ভিডিও এই অ্যাপে ভাইরাল হয়। পরের সপ্তাহে পুলিশ সন্দেহভাজন দুজন তরুণকে গ্রেপ্তার করে। ফিলিস্তিনে আক্রমণ জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের ক্লিপও টিকটক-এ ছড়াতে শুরু করে। অ্যাপ ব্যবহারকারীরা #SaveSheikhJarrah #সেভশেখজারাহ এই হ্যাশট্যাগে ভিডিও পোস্ট করে। পূর্ব জেরুসালেমের এই শেখ জারাহ এলাকা থেকেই ফিলিস্তিনি পরিবারদের উচ্ছেদের হুমকি থেকে এবারের সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে। এই ভিডিওগুলো এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষ দেখছে এবং শেয়ার করছে। টিকটক বুম: চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং পরাশক্তির সামাজিক মাধ্যম দখলের লড়াই নামে বইয়ের লেখক ক্রিস স্টোকলি-ওয়াকার বিবিসিকে বলছেন যে, টিকটক ব্যবহার করা যেহেতু খুবই সহজ এবং এই অ্যাপ যেহেতু ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়, তাই এই মাধ্যমের কন্টেন্ট ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায় খুবই দ্রুত। \"এই অ্যাপে ভিডিও তৈরির পদ্ধতি এবং সরঞ্জামগুলো খুবই সহজ -এতই সহজ যে ১২ বছর থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সের যে কেউ নিজেই, প্রযুক্তি বিষয়ে তেমন কোন জ্ঞান না থাকলেও এই অ্যাপে ভিডিও বানাতে পারে,\" তিনি বলেন। \"আর এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বিশাল- আমরা জানি যে সারা পৃথিবীতে নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করে মাসে ৭৩ কোটি বিশ লাখ মানুষ। কাজেই টিকটক-এ আপ যদি কিছু পোস্ট করেন, তা প্রচুর মানুষ দেখবে এটা বাস্তবতা।\" আরও পড়তে পারেন: একটি ভিডিওর ছবিতে দাবি করা হচ্ছে গাযায় ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে পালাচ্ছে গাযার মানুষ। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভিডিওটি পোস্ট করেছে 'মুসলিম' নামে আমেরিকার একটি নিউজ সাইট, যে ভিডিওটি টিকটক-এ দেখা হয়েছে চার কোটি ৪০ লক্ষ বার। সাব্রিনা আবুখদিয়ের নামে আরেকজন টিকটক ব্যবহারকারীর আরেকটি পোস্ট দেখেছে ১৫ লাখ মানুষ। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাযার একটি বিধ্বস্ত বহুতল আবাসিক ভবন এবং ক্রন্দনরত শিশু- সাথে তার লেখা পোস্ট- \"আপনারা জানেন কী করত�� হবে,\"। তিনি এই ভিডিওটি সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। টিকটক ব্যবহারকরী এবং একইসঙ্গে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারেও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘাতের ফুটেজ এবং গাযার ভেতরকার পরিস্থিতির ভিডিও ছবির সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে #সেভশেখজারাহ হ্যাশট্যাগ। পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে বেরিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সমর্থকরাও টিকটক-এ তাদের পোস্ট দিচ্ছে। একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথর থেকে এক ফিলিস্তিনি নারীকে আড়াল করে রেখেছে একজন ইসরায়েলি সৈন্য। টিকটক-এ এই ভিডিওটিও দেখেছে ১৫ লাখের ওপর মানুষ। অনলাইনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর জোরালো উপস্থিতি রয়েছে। টুইটারে তাদের অনুসারীর সংখ্যা ১৩ লাখ এবং টিকটক-এ তাদের অনুসারী রয়েছে ৭০ হাজারের ওপর। তারাও ইসরায়েলের ভেতরকার চিত্র এবং ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের ভিডিও টিকটক-এ পোস্ট করছে। \"এটা আপনার শহর হলে আপনি কী করতেন?\" এমন প্রশ্ন তুলে টিকটক-এ পোস্ট করা তাদের একটি ভিডিও দেখেছে ৩ লাখ মানুষ। ইসরায়েলে হাইফা ইউনিভার্সিটির ড. গ্যাব্রিয়েল ওয়েইমান বলেছেন অনলাইনে এখন \"হৃদয় ও মনের লড়াই চলছে\" এবং এই মুহূর্তে \"এটা অসম লড়াই\"। \"ইসরায়েলের দিক থেকেও সমানতালে পাল্টা পোস্টিং হচ্ছে, কিন্তু আমি বলব সেগুলো তেমন শক্তিশালী নয়, এবং মোটেও সুসংগঠিত নয়, এবং আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব সেগুলো তেমন মানুষের বিশ্বাস তৈরি করে না,\" তিনি বিবিসিকে বলেন। \"হয়ত ইসরায়েলে কেউই মনে করেনি যে টিকটক একটা শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।\" জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এ রকম হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ার জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত এ মাসে টিকটক এবং টুইটার-এ একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে যখন একটি গাছ পুড়ছে, তখন তা দেখে নাচছে এবং উল্লাস প্রকাশ করছে ইহুদিরা। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা দাবি করে মসজিদ ধ্বংস হওয়ায় তারা উল্লাস প্রকাশ করছে। বাস্তব ঘটনা ছিল, ওই ইহুদিরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন জেরুসালেম দিবস উদযাপনের জন্য। আগুনে মসজিদের কোন ক্ষতি হয়নি। ইসরায়েলি পুলিশ ওই ঘটনার দোষ চাপায় ফিলিস্তিনিদের ওপর। তারা বলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া আতসবাজিতে আগুন লেগেছে, আর প্রতিবাদকারীরা বলে ইসরায়েলি সেনা অফিসারদের ছোঁড়া স্টান গ্রেনেডে থেকে আগুনের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার রাতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গানৎয ফেসবুক এবং টিকটক-কে তাদের সাইট থেকে এসব পোস্ট সরিয়ে ফেলতে বলেন। তিনি বলেন এসব পোস্ট সহিংসতায় আরও উস্কানি যোগাবে। তিনি বলেন উগ্রপন্থীরা সামাজিক মাধ্যমে ইচ্ছা করে এসব ছড়াচ্ছে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তিনি সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোর \"সহযোগিতা আশা\" করছেন। সংবাদ ওয়েবসাইট ইসরায়েল ন্যাশানাল নিউজ জানায় দুটি সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তারাই \"তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহিংসতা ছড়ানো বন্ধে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের\" প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভুয়া ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য অনলাইনে ছড়ানো প্রতিরোধে গড়ে তোলা একটি সংস্থা, ফার্স্ট ড্রাফট নিউজে কাজ করেন শেদানে আরবানি। \"আমরা যেসব কন্টেন্ট দেখেছি তার মধ্যে অনেকগুলোই পুরনো সংবাদ মাধ্যম থেকে নেয়া পুরনো খবর, যেগুলো অপ্রাসঙ্গিকভাবে পোস্ট করা হয়েছে,\" তিনি বিবিসিকে বলেন। তিনি বলেন দু পক্ষ থেকেই সম্পূর্ণ অন্য সময়ের খবর এবং ভিন্ন জায়গার খবর ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিন লড়াইয়ে আরেকটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বিশেষ করে সামাজিক ভিডিও অ্যাপ টিকটক।", "doc2": "De jeunes Palestiniens et Israéliens ont filmé le conflit sur leurs smartphones. Autrefois connue principalement pour les tendances de danse virale, l'application vidéo est également devenue une plateforme clé pour le partage des informations. Le site, propriété de la Chine, a un vaste public, principalement jeune, et compte environ 700 millions d'utilisateurs actifs mensuels dans le monde. Des images de tirs de roquettes sur Israël, de destructions à Gaza et de manifestations palestiniennes sont toutes devenues virales sur le site. Le conflit est ainsi apparu sur les écrans de téléphone de millions de personnes à travers le monde. Mais certains craignent également que ce site et d'autres médias sociaux ne diffusent des informations fausses ou extrémistes. Les violences de cette semaine à Gaza et en Israël sont les pires depuis 2014. Elle est intervenue après des semaines de montée des tensions israélo-palestiniennes à Jérusalem-Est, qui ont culminé avec des affrontements sur un lieu saint vénéré à la fois par les musulmans et les juifs. Le Hamas, le groupe militant qui dirige Gaza, a commencé à tirer des roquettes après avoir averti Israël de se retirer du site, déclenchant des frappes aériennes de représailles. Avant même que les derniers combats n'éclatent, les tensions entre Palestiniens et Israéliens se sont manifestées sur TikTok. En avril, une vidéo montrant des adolescents de Jérusalem-Est giflant deux garçons juifs orthodoxes dans les transports publics est devenue virale sur l'application. La police a arrêté deux suspects la semaine suivante. L'armée israélienne combat les militants palestiniens Des clips de manifestations ont également commencé à apparaître sur TikTok. Les utilisateurs ont posté des vidéos sous le hashtag #SaveSheikhJarrah, en référence aux menaces d'expulsion de familles palestiniennes dans un quartier de Jérusalem-Est. Ces vidéos sont désormais visionnées et partagées dans le monde entier. Chris Stokely-Walker, auteur de TikTok Boom : China, the US and the Superpower Race for Social Media, a déclaré à la BBC que la facilité d'utilisation et la popularité colossale de TikTok ont permis la diffusion rapide de son contenu. \"Les outils de création de vidéos via l'application sont si simples que n'importe qui, de 12 ans à 90 ans, peut le faire lui-même sans trop de connaissances techniques\", a-t-il déclaré. \"C'est aussi la taille du public - nous savons que TikTok compte quelque chose comme 732 millions d'utilisateurs actifs mensuels dans le monde. Donc, si vous postez quelque chose, il y a de fortes chances qu'il soit vu par un grand nombre de personnes.\" BBC Arabic a rencontré l'un des visages du soulèvement tunisien. Les utilisateurs de TikTok - ainsi que d'autres plateformes sociales comme Facebook, Instagram et Twitter - utilisent le hashtag #SaveSheikhJarrah à côté de séquences d'affrontements avec les forces de sécurité israéliennes, ainsi que de la situation sur le terrain à Gaza. Une vidéo montrant prétendument des personnes fuyant les frappes israéliennes à Gaza, postée sous le hashtag par le site d'information américain Muslim, compte plus de 44 millions de vues sur TikTok. Un autre post de l'utilisatrice de TikTok Sabrina Abukhdeir - avec plus de 1,5 million de vues - montrait des enfants palestiniens en pleurs et la destruction d'un immeuble à Gaza. \"Vous savez ce qu'il faut faire\", a-t-elle écrit, invitant les gens à partager la vidéo. Les Palestiniens sont sortis pour protester en Cisjordanie occupée. Des partisans d'Israël ont également publié des messages sur TikTok. Une vidéo montrant un soldat israélien protégeant une femme palestinienne de pierres lancées par des manifestants palestiniens a été visionnée plus de 1,5 million de fois sur l'application. Les Forces de défense israéliennes (FDI) sont très présentes en ligne. Elles comptent 1,3 million d'abonnés sur Twitter et plus de 70 000 sur TikTok, où elles publient des vidéos de leurs forces en action et des scènes se déroulant en Israël. Une vidéo demandant aux spectateurs \"Que feriez-vous si c'était votre ville ?\" a été vue plus de 300 000 fois sur le site. Le Dr Gabriel Weimann, de l'université de Haïfa, en Israël, a souligné qu'il s'agissait d'une bataille \"des cœurs et des esprits\" en ligne et que, pour l'instant, \"la guerre n'est pas égale\". \"Du côté israélien, vous voyez un contre-courant, qui, je dois le dire, est moins puissant, pas du tout organisé, et si vous me demandez, moins persuasif\", a-t-il expliqué à la BBC. \"Peut-être parce qu'en Israël, personne ne pensait que TikTok serait une plateforme puissante ou importante\". Comment dépasser les 100 000 followers sur TikTok Ce mois-ci, une vidéo est devenue virale sur TikTok et Twitter, montrant des Juifs dansant et applaudissant alors qu'un arbre brûle dans l'enceinte de la mosquée Al-Aqsa à Jérusalem. Les utilisateurs des médias sociaux ont affirmé qu'ils célébraient la destruction de la mosquée. En réalité, ils étaient réunis pour célébrer la Journée de Jérusalem, et la mosquée n'a pas été endommagée dans l'incendie. La police israélienne a indiqué que l'incendie était dû à des feux d'artifice allumés par des manifestants palestiniens, tandis que les manifestants ont affirmé qu'il était dû aux grenades assourdissantes utilisées par les militaires. Jeudi soir, le ministre israélien de la Défense, Benny Gantz, a demandé à Facebook et TikTok de supprimer de leurs sites les messages qui, selon lui, pourraient encourager la violence. \"Ce sont des mesures qui empêcheront directement la violence qui est attisée intentionnellement sur les médias sociaux par des éléments extrémistes qui cherchent à faire des dégâts dans notre pays\", aurait-il dit. \"Nous sommes dans un moment d'urgence sociale, et nous attendons votre aide\". Les dirigeants des deux entreprises ont promis d'\"agir rapidement et efficacement pour empêcher l'incitation sur leurs réseaux\", selon Israël National News. Shaydanay Urbani travaille pour First Draft News, une organisation créée pour contrer la désinformation en ligne. \"Beaucoup de choses que nous avons vues sont de vieux médias sortis de leur contexte\", a-t-elle précisé à la BBC. \"[Des histoires] circulant à partir d'une époque et d'un lieu totalement différents\". L'un des exemples les plus marquants - selon le New York Times - était une séquence largement partagée des Palestiniens qui auraient simulé des funérailles. La vidéo a été visionnée des centaines de milliers de fois sur TikTok et semblait montrer un groupe de personnes portant un cadavre sur leurs épaules avant de le laisser tomber lorsqu'une sirène retentit, et le cadavre revenant à la vie et s'enfuyant. Mais en fait, selon le New York Times, la vidéo originale est apparue il y a plus d'un an sur YouTube avec une légende indiquant qu'il s'agissait d'une famille jordanienne simulant des funérailles."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50984683", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50992779", "doc1": "কাসেম সোলেইমানি তেহরান কঠোরতম প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামিনি বলেছেন, \"অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।\" ইরানের সেনাবাহিনীর (ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডস বা আইআরজিসি) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমজান শরিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, \"ইরান এবং আমেরিকা তোমরা কড়া জবাবের জন্য অপেক্ষা করো।\" দেশের বাইরে ইরান যে তার সামরিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে চলেছে তার পেছনে মূল ব্যক্তিটি ছিলেন কাসেম সোলেয়মানি। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মত দেশগুলোতে তেহরান-পন্থী যে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো এখন পরাক্রমশালী হয়ে উঠেছে, তিনিই ছিলেন এর রূপকার । ফলে বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের এক নম্বর টার্গেট ছিলেন ইরানি এই জেনারেল। আরও পড়ুন: বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হামলা ক্ষুব্ধ জনতার ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঘটছে ইরাকে? ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া নেতা মাহদি আল মুহানদিসও (কেন্দ্রে) মি সোলেইমানির সাথে নিহত হয়েছেন সংবাদদাতারা বলছেন, ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ বুশ এবং তারপর বারাক ওবামা পর্যন্ত তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেও পরিণতির কথা ভেবে পরে পেছপা হয়েছিলেন। এ কারণে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আগামি নির্বাচনে ডেমোক্রাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী জো. বাইডেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প 'একটা বারুদের বাক্সে ডিনামাইট ছুঁড়ে দিয়েছেন।' তিনি বলেছেন, \"আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বড় ধরনের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গেলাম।\" এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাসেম সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হওয়া স্বত্বেও তার পূর্বসূরিরা যে ঝুঁকি নিতে চাননি, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন কেন তা নিলেন? পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা হলো, কাসেম সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল, সুতরাং আগে থেকেই তাকে হত্যা করে সেসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হলো। তবে এমন সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ড ঘটালেন যখন কিছুদিন আগেই তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস, এবং এক বছরের কম স��য়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি দেখতে শুরু করেছেন। কাসেম সোলেইমানির গাড়িতে ড্রোন হামলার পর ধ্বংসস্তূপ যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জুলিয়ান বার্গার লিখেছেন, নভেম্বরে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সোলেইমানিকে হত্যার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি মনে করছেন, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার যে ঘটনা বারাক ওবামার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারণায় প্রধান একটি বিষয় হয়ে উঠেছিল, মি. ট্রাম্প হয়তো সেরকমই কিছু করতে চেয়েছেন। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন বলছেন, অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আমেরিকানরা এখন কেন এই 'ট্রিগার' টিপলো, তার কারণ হয়তো প্রেডিসন্ট ট্রাম্প মনে করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের যে ঝুঁকির মাত্রা তার চেয়ে সুবিধার পাল্লা ভারি। \"তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) হয়তো মনে করেছেন অব্যাহত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় ইরান দুর্বল-একঘরে হয়ে পড়েছে। দেশের ভেতরে যে প্রচণ্ড অসন্তোষ শুরু হয়েছে তাতে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া হলেও, ইরান বড় কোনো হুমকি তৈরি করতে পারবে না।\" ডোনাল্ড ট্রাম্প্র জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কি করতে পারে ইরান 'দুর্বল ইরান' তেমন কিছু করতে পারবে না বলে মি ট্রাম্প হয়তো যে ভরসা করছেন, বাস্তবে তা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিবিসির জেরেমি বোয়েন। \"কূটকৌশল বা পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিস্টার সোলেইমানি ছিলেন খুবই ক্ষুরধার। সুতরাং তাকে কখনো হত্যা করা হলে, কি করতে হবে তেমন পরিকল্পনাও হয়তো তিনিই করে গেছেন। ইরান যে তার হত্যার একটা জবাব দেবে, তা নিশ্চিত। সোলেইমানি এতদিন ধরে দেশের বাইরে ইরানের যে প্রভাব প্রতিপত্তি তৈরি করেছেন, তা টিকিয়ে রাখার সর্বোত চেষ্টা ইরান করবে।\" ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে একটা যুদ্ধ লেগে যেতে পারে, এই শঙ্কা সন্দেহ গত বছর খানেক ধরে চলছিল, কিন্তু সেই সাথে যুদ্ধ এড়ানোর একটা চেষ্টাও তলে তলে চলছিল। ফ্রান্স এই দুই শত্রুর মধ্যে একটা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিস ডুসেট মনে করছেন, মি সোলেইমানি এবং ইরাকি একটি শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীর (পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স) প্রধান আবু মাহদি আল মোহানদিসকে হত্যার পর যুদ্ধ এড়ানোর সেই চেষ্টা ধসে পড়বে সন্দেহ নেই। কিন্তু কিভাবে ইরান প্রতিশোধ নেবে - পরিষ্কার করে অনুমান করা শক্ত। কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের প্রতি শোক প্রকাশ করছেন ইরানের রেভলুশনারি গার্ডের সদস্যরা, তেহরান, ০২/০১/২০২০ তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরী বৈঠক হচ্ছে। সেখান থেকেই হয়তো একটা ছক তৈরি হবে। লিস ডুসেট মনে করেন, 'বদলা নেওয়ার নানা রাস্তা এবং উপায় ইরানের রয়েছে।' মি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক একজন সদস্য কার্সটেন ফনটেনরোজকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখছে, ইরানের এই বদলা হয়তো দীর্ঘমেয়াদী এবং নানামুখী হবে। তিনি বলছেন ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা হয়ত তাৎক্ষনিক-ভাবে কিছু হামলা চালাবে, কিন্তু ইরান হয়তো \"উপযুক্ত সময় এবং স্থানের জন্য অপেক্ষা করবে।\" তিনি বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি পশ্চিম আফ্রিকা বা দক্ষিণ আমেরিকাতেও মার্কিন স্বার্থ এবং নাগরিকরা হামলার মুখে পড়তে পারে, এবং এই ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। \"ইরান এমন একটি বার্তা দিতে চাইবে যে আমেরিকানরা কোথাও নিরাপদ নয়।\"", "doc2": "Le général Qasem Soleimani Il faut s'attendre à des représailles. Une chaîne d'actions et de représailles pourrait s'ensuivre. Et la confrontation directe entre les deux pays est proche. L'avenir de Washington en Irak pourrait bien être remis en question. La stratégie du président Trump pour la région, s'il y en a une, sera éprouvée comme jamais auparavant. Philip Gordon, qui était coordonnateur de la Maison-Blanche pour le Moyen-Orient et le golfe Persique dans le gouvernement Obama, a décrit l'assassinat du général Qasem Soleimani comme étant presqu'une \"déclaration de guerre\" des Américains contre l'Iran. Lire aussi: La Force Quds est la branche des forces de sécurité de l'Iran responsable des opérations à l'étranger. Depuis des années, que ce soit au Liban, en Irak, en Syrie ou ailleurs, Soleimani a été l'un des principaux instigateurs de l'expansion et de l'extension de l'influence de l'Iran en planifiant des attaques ou en renforçant les alliés locaux de Téhéran. Qassem Soleimani en première ligne lors d'opérations offensives dans la ville de Tal Ksaiba Pour Washington, c'était un homme avec du sang américain sur les mains. Mais il était populaire en Iran. Et en termes pratiques, il a mené la riposte de Téhéran contre la vaste campagne de pression et les sanctions imposées par les États-Unis. Le plus surprenant n'est pas que Soleimani était dans la ligne de mire du président Trump, mais plutôt pourquoi les Etats-Unis devraient le frapper maintenant. Une série d'attaques à la roquette de faible niveau contre des bases américaines en Irak ont été imputées à Téhéran. Un entrepreneur civil américain a été tué. Mais les opérations iraniennes précédentes, notamment contre des pétroliers dans le Golfe, l'abattage d'un drone américain, et même l'attaque majeure contre une installation pétrolière saoudienne, se sont toutes déroulées sans réponse directe des États-Unis. Lire aussi: Quant aux attaques à la roquette contre les bases américaines en Irak, le Pentagone a déjà riposté contre les milices pro-iraniennes que l'on croit derrière elles. Cela a provoqué une attaque contre le complexe de l'ambassade américaine à Bagdad. Pour le Pentagone la décision de tuer Soleimani était prise dans un but dissuasif. Cette décision ne s'est pas seulement concentrée sur ses actions passées. Selon la déclaration du Pentagone, le général iranien \"développait activement des plans pour attaquer les diplomates et les membres des services américains en Irak et dans toute la région\". Lire aussi: La grande question est de savoir ce qui se passera ensuite. Le président Trump espère qu'en une seule action spectaculaire, il a à la fois intimidé l'Iran et prouvé à ses alliés de plus en plus inquiets dans la région, comme Israël et l'Arabie saoudite, que la dissuasion américaine a encore du mordant. Cependant, il est presque impensable qu'il n'y ait pas de réponse iranienne, même si elle n'est pas immédiate. L'Iran pourrait-il cibler les soldats américains stationnés en Irak? Les 5 000 soldats américains en Irak sont une cible potentielle. Les tensions seront plus fortes dans le Golfe. Pas étonnant que l'impact initial ait été de voir une flambée des prix du pétrole. Les États-Unis et leurs alliés se tourneront vers leurs défenses. Washington a déjà dépêché du renfort à son ambassade à Bagdad. Elle aura des plans pour augmenter rapidement son empreinte militaire dans la région si nécessaire. Mais il est tout aussi possible que la réponse de l'Iran soit, dans un certain sens, asymétrique. En d'autres termes, l'Iran peut ne pas rendre coup pour coup. Il pourrait chercher à jouer sur le large soutien qu'il a dans la région. L'Iran pourrait aussi par exemple renouveler le siège de l'ambassade américaine à Bagdad, mettant le gouvernement irakien dans une position difficile, et remettre en question le déploiement américain sur place. Il pourrait provoquer des manifestations ailleurs pour couvrir d'autres attaques. Lire aussi: L'attaque contre le commandant de la force Quds a été une démonstration claire des capacités et des renseignements militaires américains. Beaucoup dans la région ne pleureront pas sa disparition. Mais était-ce la chose la plus sage à faire pour le président Trump Le Pentagone est-il bien préparé pour faire face aux conséquences? Et que nous apprend cette frappe sur la stratégie globale de M. Trump dans la région ? Qu'est-ce que cela a changé ? Y a-t-il une nouvelle tolérance zéro envers les opérations iraniennes? Ou s'agit-il simplement du président américain qui a éliminé un commandant iranien qu'il considérerait sans doute comme \"un très mauvais homme\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48337182", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48334992", "doc1": "শিল্পীর চোখে স্যামুয়েলের সাইকেল চালনা স্যামুয়েলের পরিবার ছিল অনেক বড়- তার পিতার চার স্ত্রীর ঘরে ছিল ১৭টি সন্তান। কিন্তু স্যামুয়েল সেদিন তাদের আয়ার সাথে ছিল একা। তার পরিবারকে বলা হয়েছিল যে সে বাড়ির বাইরে গেছে সাইকেল চালাতে। কিন্তু তার পরের ছয় বছর সে আর বাড়িতে ফিরেনি। তার সাথে পরিবারের আর কারো দেখাও হয়নি। শিশুর খোঁজে \"তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্যে হেন কিছু নেই যা আমরা করি নি,\" বলেন স্যামুয়েলের বড় বোন ফিরদৌসি ওকেজি। সেসময় ফিরদৌসির বয়স ছিল ২১। তার ভাই যখন নিখোঁজ হয়ে গেলো তখন তাকে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফোন করতেন, তখন তার ভাই স্যামুয়েল দৌড়ে ফোনের কাছে চলে যেত। তাঁর সাথে ফোনে কথা বলতে খুব পছন্দ করতো স্যামুয়েল। কিন্তু দেখা গেল তিনি যখন বাড়িতে ফোন করছেন তখন আর তার ভাই ফোন ধরছে না। বাড়ির অন্যান্যরা ফোন ধরতে লাগলো। তখনই ফিরদৌসির সন্দেহ হয়েছিল যে কিছু একটা হয়েছে। কী হয়েছে সেটা জানতে ফিরদৌসি একদিন দুপুরবেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করে বাড়িতে গেলেন। সেসময় বাড়িতে ছিলেন তার পিতা যিনি একজন স্থপতি এবং হোটেল মালিক। তিনি আর ঘটনাটি তার মেয়ের কাছে গোপন রাখতে পারলেন না। সবকিছু খুলে বলতে হলো তাকে: কয়েক মাস হলো তার প্রিয় ছোট ভাইটার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্যামুয়েল হারিয়ে যাওয়ার আগে তার মায়ের সাথে। \"আমার পিতার অভিযোগের পর প্রথম দিকে বাড়ির আয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তদন্তের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়,\" বলেন ফিরদৌসি। স্যামুয়েলের এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর যতদিন সম্ভব তার মায়ের কাছ থেকেও গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্যামুয়েলের পিতার সাথে তার মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তিনি থাকেন অন্য একটি শহরে। মা-ও তার খোঁজ নিতে বাড়িতে ফোন করতেন। স্যামুয়েলের বাড়িতে না থাকার ব্যাপারে প্রত্যেকবারই তাকে ভিন্ন অজুহাত দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত স্যামুয়েলের এক মামাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো তার মাকে সবকিছু খুলে বলতে। পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি স্যামুয়েলের খোঁজে তার পরিবার থেকেও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো। ছোট ছোট দল গঠন করা হলো - যাদের কাজ ছিল রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে স্যামুয়েলকে খুঁজে বের করা। তারা এলাকার বন-জঙ্গল এমনকি খানাখন্দও খুঁজে দেখল, যদি সে ওখানে পড়ে গিয়ে থাকে, কিম্বা কেউ তাকে মেরে সেখানে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। স্যামুয়েলের খোঁজে তারা মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সাথেও আলোচনা করলো। তারপর একসময় তার পিতা সবাইকে অনুরোধ করলো 'তাদের ভাই মারা গেছে' এই সত্যটা মেনে নিতে। কারণ তাকে খুঁজে বের করার জন্য যা কিছু করার দরকার তার সবই তারা করেছে। সেই চিৎকার কিন্তু ফিরদৌসি তার ভাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা বাদ দিতে রাজি হন নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার থিসিস তিনি তার হারিয়ে যাওয়া ভাইকে উৎসর্গ করলেন। স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করার এক বছর পর কাজের সন্ধানে তিনি চলে যান দক্ষিণের লাগোস শহরে। ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করলেন। নিয়মিত যেতে লাগলেন নাইজেরিয়ার ওগুন রাজ্যের গির্জা উইনারস চ্যাপেলে। এই গির্জায় প্রত্যেক ডিসেম্বর মাসে পাঁচদিনের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সারা বিশ্ব থেকে এর সদস্যরা সেখানে যোগ দিতেন। ফিরদৌসি যখন তার হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে পেলেন- শিল্পীর চোখে। এই অনুষ্ঠানটি পরিচিত শিলো নামে। এতে যারা যোগ দেন তারা চাইলে সেখানে তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রি স্ট্যান্ড বসাতে পারেন। ফিরদৌসির তখনও চাকরি হয়নি। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসের ওই অনুষ্ঠানে তিনিও একটি স্ট্যান্ড বসাতে চাইলেন। তাতে তার মায়ের তৈরি করা কিছু কাপড়ের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেন তিনি। ওরকম একটি ফ্রি স্ট্যান্ড বানাতে চেয়ারে বসে একজন কাঠমিস্ত্রির জন্যে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ঘুমে তার মাথাটা প্রায় ঢলে পড়েছিল তখন। কিছু একটার আওয়াজে জেগে উঠলেন তিনি। দেখলেন একজন ভিক্ষুক আল্লাহর নাম করে তার কাছে ভিক্ষা চাইছেন। ফিরদৌসি তখন চোখ তুলে তাকালেন। তিনি দেখলেন ওই ভিক্ষুক একজন বালকের কাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। বালকটির পরনে ছিন্ন বস্ত্র। তাকে দেখেই চিৎকার দিয়ে উঠলেন ফিরদৌসি - মুখ বসে যাওয়া বালকটি আর কেউ নয়, তারই হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই। অপহরণ স্যামুয়েলের এখন বয়স ৩০ বছর। তাকে তার পরিবার থেকে কিভাবে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে তার কিছুই মনে নেই। \"আমার শুধু ট্রেনে করে কোথাও যাওয়ার কথা মনে পড়ে।\" তাকে একজন মহিলার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার ছিল একটা হাত। লাগোসের এক শহরতলিতে থাকতেন ওই মহিলা। ওই এলাকাতে বহু প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক বসবাস করতো। ওই মহিলা স্যামুয়েলকে ভাড়া করেছিল অন্ধ ভিক্ষুকদের পথ-নির্দেশক হিসেবে। এজন্যে তাকে দেওয়া হতো দিনে ৫০০ নাইরা বা পাঁচ ডলার। একজন অন্ধ ভিক্ষুকের একটি বালকের কাঁধ বা হাত ধরে চলাফেরা করার দৃশ্য নাইজেরিয়ার রাস্তাঘাটে খুবই স্বাভাবিক একটি দৃশ্য। বিশেষ করে সেসব রাস্তায় যেখানে প্রচুর গাড়ি চলে। তারা গাড়ির জানালায় টোকা মেরে মেরে ভিক্ষে করে। অথবা তাদেরকে মসজিদ কিম্বা গির্জার আশেপাশে ভিক্ষা করতেও দেখা যায়। স্যামুয়েল জানান পরে আরো পাঁচজন বালক ওই মহিলার সাথে যোগ দিয়েছিল যাদেরকেও ভাড়া দেওয়া হতো অন্ধ ভিক্ষুকদের কাছে। অন্ধ ভিক্ষুক ও তাদের গাইড। স্যামুয়েলের মনে হতো তাকে এমন কিছু দেওয়া হয়েছে বা এমন কিছু একটা করা হয়েছে যার ফলে ওই সময়ের কথা সে কিছুই মনে করতে পারছে না। সেসময় তার পরিবারের সদস্যদের কথাও তার মনে পড়েনি। \"আমি ঠিক জানি না সেসময় আমার মধ্যে আবেগ বলে কিছু ছিল কিনা। আমি শুধু জানতাম যে একজন ভিক্ষুককে সাথে নিয়ে আমার বাইরে বের হতে হবে। অর্থ জোগাড় করতে হবে, খাবার থেতে হবে, ঘুমাতে হবে। তার পরের দিনও আমার ঠিক ওই একই কাজ ছিল,\" বলেন তিনি। দাসত্বের জীবন ভিন্ন ভিন্ন ভিক্ষুক তাকে ভাড়া করতো। কেউ ভাড়া করতো এক সপ্তাহের জন্যে আবার কেউ হয়তো এক মাসের জন্যেও। দিনের শেষে ব��লক স্যামুয়েল ভিক্ষুকের সাথেই রাস্তার কোন এক পাশে ঘুমিয়ে পড়তো। ওর কাজে খুশি হলে ভিক্ষুকরা তাকে হয়তো আরো কিছুদিনের জন্যে আবার ভাড়া করতো। \"আমার জীবন ছিল একজন দাসের মতো। আমি কোথাও যেতে পারতাম না। কিছু করতে পারতাম না। আমাকে থাকতো হতো তাদের আশেপাশেই।\" তাকে সবসময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হতো। ফলে তার কিছু বন্ধুও হয়েছিল, যারা ছিল ওই ভিক্ষুকদেরই ছেলে মেয়ে। কখনও কখনও তারা একসাথে খেলাধুলাও করতো। অন্ধ ভিক্ষুককে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্যামুয়েল, শিল্পীর তুলিতে। কখনও কখনও লোকেরা তাকে খাবার খেতে দিত। না হলে তারা রেস্তোরাঁর আশেপাশে ঘুরঘুর করতো এবং ফেলে দেওয়া খাবার ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খেত। \"আমি সবসময় ক্ষুধার্ত থাকতাম। কিন্তু দিনের বেলা যখন কাজে থাকতাম তখন খাওয়ার জন্য কোন ফুসরত ছিল না। লোকেরা যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে চলে যেত তেমনি ওই ভিক্ষুকরাও সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে নিয়ে ভিক্ষা করতে বের হয়ে পড়তো।\" দিনের পর দিন সে এই কাজটাই করেছে। লাগোসের এমন কোন রাস্তা বাকি নেই যে রাস্তা ধরে সে হাঁটে নি। ভিক্ষুকদের ডান হাত কাঁধে নিয়ে সে চষে বেড়াত শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কখনও কখনও তারা পাশের শহরেও চলে যেত। সীমান্ত পার হলেই আরেকটি দেশ বেনিন। কখনও যদি ভিক্ষুকরা খবর পেতেন যে কোথাও বড় রকমের দান খয়রাতের ঘটনা আছে তখন তারা স্যামুয়েলকে বললে স্যামুয়েল তাদের নিয়ে বাসে করে অনেক দূরেও চলে যেত। \"অন্ধ মানুষ খুব স্পর্শকাতর হয়। তাদের শ্রবণশক্তি খুব প্রখর থাকে। কোন শব্দ হলেই তারা টের পেয়ে যায়। কখনও কখনও তারা আমার কাঁধ টিপে বলতো: ওখানে তো একজন আছে। তুই কেন ওই লোকটার কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছিস?\" \"তারা চেষ্টা করতো যতটা সম্ভব অর্থ রোজগার করতে।\" অলৌকিক ঘটনা ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। স্যামুয়েল সেসময় যে ভিক্ষুককে নিয়ে রাস্তায় বের হতো, তিনি উইনার চ্যাপেল গির্জার অনুষ্ঠানটির কথা শুনেছিলেন। ওখানেই তার বোনের সাথে দেখা হয়েছিল। ফিরদৌসি তখন চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোনকে দেখার পর একটা শব্দও করতে পারে নি স্যামুয়েল। এতদিন পর এভাবে হারিয়ে যাওয়া ভাইকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ফিরদৌসি। \"প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল তাকে আমি চিনি। কোন না কোনভাবে তিনি আমার পরিচিত,\" বলেন স্যামুয়েল। উইনারস চ্যাপেলের ডেভিড ওদেপো। কিন্তু এর মধ্যেই সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। গির্জার কর্মকর্তারাও এসে হাজির হলেন। জ্ঞান ফিরে এলো ফিরদৌসির। সব ঘটনা শুনে গির্জার লোকেরা একে এক অলৌকিক ঘটনা বলে ঘোষণা করলেন। তারা সবাই মিলে স্যামুয়েলকে গির্জার এক কোণায় নিয়ে গেলেন। পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেন তার শরীর। নতুন কাপড় দিলেন পরার জন্য। তারপর তাকে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হলো। মঞ্চের সামনে তখন ৫০ হাজার মানুষ। ফিরদৌসির হাতে তখন একটা মাইক্রোফোন তুলে দেওয়া হলো। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বর্ণনা করলেন এই কিছুক্ষণ আগে তিনি কীভাবে তার এতদিনের হারানো ভাইকে ফিরে পেয়েছেন। সেখানে উপস্থিত সবাই তখন আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। গির্জার প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ওয়েডেপো তখন স্যামুয়েলকে ধরে তার জন্যে প্রার্থনা করেন। ওই রাতে তারা গির্জার সামনে রাখা একটি গাড়ির ভেতরেই ঘুমিয়েছিলেন। কারণ ফিরদৌসি যেখানে থাকেন সেই জায়গাটা গির্জা থেকে অনেক দূরে। ফিরদৌসির মনে আছে ওই রাতে বারবার তার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। এবং প্রতিবারই তিনি তার ভাইকে স্পর্শ করে নিশ্চিত হয়েছেন যে বালকটি আসলেই তার ভাই। উদ্ধার স্যামুয়েলের সাথে আরো যারা ছিল তাদেরকে উদ্ধার করার জন্যে সেদিন কিছু না করায় এখন অনুশোচনা হয় ফিরদৌসির। আসলে ছয় বছর পর ভাইকে পেয়ে তিনি আবেগে এতোটাই ভেসে গিয়েছিলেন যে তখন অন্যদের জন্যে কিছু করার কথা তার মনেই পড়েনি। কিন্তু স্যামুয়েল জানান, তাকে উদ্ধার করার সামান্য আগে ওই মহিলার কাছে আরো একজন বালক হাজির হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রথম দিকে বাচ্চাটি শুধু কাঁদতো। কিছু খেতে দিলেও খেত না। তারপর কোন এক সময় সে একেবারে বোবা হয়ে যায়। কোন কথা বলতো না। স্যামুয়েলের ধারণা ওই ছেলেটিকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্যেও হয়তো কিছু একটা করা হয়েছিল। বোন ফিরদৌসির সাথে স্যামুয়েল। \"উন্নত দেশে এরকম ঘটনা ঘটলে আপনি পুলিশের কাছে যাবেন। কিন্তু এখানে পুলিশ আপনার কাছে অর্থ দাবি করবে। কিন্তু আমার তো কোন চাকরি ছিল না,\" বলেন ফিরদৌসি। কিন্তু এই গল্পের এখানেই শেষ নয়। ছয় বছর নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হওয়া ১৬ বছর বয়সী ভাইকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেও তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সে আর তার বাবার কাছে ফিরে যায় নি। বরং তার পর থেকে সে বড় হয়েছে তার বোনের কাছেই। তার সারা শরীরে ফুসকুড়ি পড়ে গিয়েছিল। গা থেকে আসতো দুর্গন্ধও। স্যামুয়েলের ডান কাঁধটা এক বছরেরও বেশি সময়ের জন্য একপাশে ঝুলে থাকতো। তারপর এক্স-রে করা হলো, ফিজিওথেরাপি দেওয়া হলো। ডাক্তাররা বললো, বছরের পর বছর ভিক্ষুকদের হাতের চাপের কারণে তার কাঁধটা একদিকে বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। স্যামুয়েলকে যখন তার মা প্রথম দেখলেন তখন তিনিও তার ছেলেকে চিনতে পারেন নি। তার একটি হাত উঠিয়ে একটা জন্মদাগ দেখার পরেই মা নিশ্চিত হয়েছিলেন যে হ্যাঁ, সে তারই সন্তান স্যামুয়েল। শিক্ষা টানা ছয় বছর ধরে পড়াশোনা না করায় স্যামুয়েল কিছুই পড়তে পারতো না। ফলে বোন ফিরদৌসি তার জন্যে স্কুল খুঁজতে শুরু করলো। খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন তিনি। সবাই বলতে লাগলেন প্রাইমারি স্কুলে যাওয়ার আর বয়স নেই স্যামুয়েলের। ফিরদৌসি যখন আশা ছেড়ে দেবেন ঠিক তখনই তার সাথে একজন স্কুল মালিকের দেখা হলো। সেদিন গির্জার ওই অনুষ্ঠানে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। ওই মহিলা তখন স্যামুয়েলকে স্কুলে ভর্তি করাতে রাজি হলেন। তার জন্যে স্কুলের বাইরে বাড়তি কিছু পড়াশোনারও ব্যবস্থার করলেন ফিরদৌসি। স্যামুয়েল আব্দুল রহিম। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই স্যামুয়েল ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোরে উঠে গেল। এক বছরের মধ্যে সে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হলো। এর মাত্র তিন বছর পর সে বসে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি ভর্তি হয়ে গেলেন জারিয়ার আহমাদু বেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। কিন্তু তার মেধাই তার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ালো। বন্ধ হয়ে গেল তার পড়াশোনা। কারণ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেওয়ার জন্যে ধরতো স্যামুয়েলকে। পরীক্ষায় আরেক ছাত্রের জন্য উত্তর লিখে দেওয়ায় তাকে যখন বহিষ্কার করা হলো তখন তিনি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ক্ষোভ নেই বর্তমানে স্যামুয়েল একটি নির্মাণ কোম্পানির সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছেন। \"কোনদিন আমি যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারি তাহলে আমি আবার পড়ালেখা শুরু করবো,\" বলেন তিনি। তার ইচ্ছা তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করবেন। স্যামুয়েলের জীবনে যা ঘটেছে তার জন্যে খারাপ কিছু মনে হয় না তার। তিনি মনে করেন তার ওই দিনগুলিই তার জীবন গড়ে তুলেছে, তাকে শিখিয়েছে অন্যদের প্রতি বিনয়ী ���তে। ওই ছয় বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জেনেছেন ভিক্ষুক ও গাইডরা কতোটা ক্ষুধার্ত থাকেন। আর সেকারণে তিনি তাদেরকে কখনো অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন না। \"বরং আমি তাদেরকে খাবার কিনে দেই। কারণ তখনই আমি বুঝেছিলাম অর্থের চেয়ে আমাদের জন্যে খাবার কতোটা জরুরী ছিল। কারণ ভিক্ষুকদেরকে যে অর্থ দেওয়া হতো সেটা কখনোই আমার কাছে এসে পৌঁছাতো না।\" স্যামুয়েল তার জীবনের এই গল্প এখন সবাইকে জানাতে চান কারণ তিনি মনে করেন এর ফলে লোকেরা হয়তো ভিক্ষুক ও তাদের শিশু গাইডদের প্রতি আরো বেশি সহানুভূতিশীল হবেন। আরো পড়তে পারেন: রূপপুর প্রকল্পে 'দুর্নীতি', ঢাকায় 'বালিশ বিক্ষোভ' বদলে গেল কিলোগ্রাম: ক্রয়-বিক্রয়ে কী প্রভাব ফেলবে? যে পাঁচ কারণে হুয়াওয়েকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন", "doc2": "Bien qu'il soit issu d'une famille nombreuse - son père avait 17 enfants et quatre femmes - Samuel était seul avec une nounou ce jour-là. On a dit à sa famille qu'il était sorti pour faire du vélo. Ils ne le reverront pas avant six ans. Lire aussi : La recherche \"Il n'y a rien que nous n'ayons pas fait pour essayer de le retrouver \", se souvient sa sœur aînée, Firdausi Okezie. Alors âgée de 21 ans, elle n'a pas été informée de sa disparition dans un premier temps. Son frère avait toujours aimé se précipiter pour répondre au téléphone et lui parler quand elle l'appelait de l'université. Mais quand d'autres membres de la famille ont commencé à répondre quand elle appelait, elle s'est doutée que quelque chose n'allait pas. Après ses cours un après-midi, Firdausi est rentrée chez elle par surprise et son père, architecte et hôtelier, a été contraint de révéler la triste vérité : son frère préféré avait disparu depuis plus d'un mois. Au début, la mère de Samuel, photographiée ici quelques années avant la disparition, n'a pas été informée de la disparition de son fils. \"Au début, mon père a fait arrêter la nounou, mais après enquête, ils l'ont laissée partir\", dit Firdausi. Ils ont aussi essayé de cacher la nouvelle à la mère de Samuel le plus longtemps possible. Elle était divorcée de son père. Chaque fois qu'elle appelait de sa nouvelle maison dans une ville différente, ils invoquaient des excuses différentes. Finalement, un oncle s'est vu confier la tâche peu enviable de lui dire la vérité. Lire aussi : Le Sultan de Sokoto contre la mendicité Accro à la codéine En plus des enquêtes policières approfondies, la famille a placé des annonces dans les journaux et a envoyé des équipes de recherche pour fouiller les rues. Ils ont vérifié les fossés au cas où il aurait été victime d'un délit de fuite, et ont même consulté des guides religieux musulmans. Avec le temps, son père a demandé à la famille d'accepter que leur frère était mort et qu'ils avaient fait de leur mieux pour le retrouver. Le cri Firdausi a refusé d'abandonner. Elle a dédié sa thèse universitaire à son frère disparu, et un an après avoir obtenu son diplôme, elle a déménagé au sud de Lagos à la recherche de travail. Elle s'est convertie au christianisme et a commencé à fréquenter la Winners Chapel - l'une des méga-églises du Nigeria basée dans l'état d'Ogun juste à l'extérieur de la ville. Chaque année, en décembre, l'église organise un rassemblement de cinq jours de ses membres venus du monde entier. Une illustration de Firdausi Okezie reconnaissant son frère. Pendant l'événement, connu sous le nom de Shiloh, les membres de la congrégation qui le désirent se voient attribuer des stands gratuits pour exposer leurs biens et services dans les locaux de l'église. Toujours sans emploi en décembre 2000, Firdausi a demandé un stand pour vendre des tissus teintés que sa mère avait fabriqués. En attendant qu'un charpentier l'aide à installer le présentoir, elle s'est assise sur une chaise et a placé sa tête sur ses genoux pour se reposer. Lire aussi : Dangoté milliardaire et philanthrope Une victime de Boko Haram réapprend à marcher C'est alors qu'elle entend un mendiant demander, au nom d'Allah, de la monnaie. Firdausi leva les yeux. Ce mendiant avait la main fermement plantée sur l'épaule gauche d'un garçon vêtu d'une tunique brune en lambeaux et d'un pantalon de petite taille. Firdausi se mit à crier - le garçon hagard qui guidait le mendiant était son frère perdu. L'enlèvement Samuel, maintenant âgé de 30 ans, ne se souvient pas exactement comment il a été volé à sa famille : \"Tout ce dont je me souviens, c'est du voyage en train.\" Il a été emmené chez une manchote qui vivait dans la banlieue de Lagos, dans une zone principalement occupée par des mendiants handicapés. La femme l'a loué à des mendiants aveugles pour 500 nairas (environ 3.000 FCFA à l'époque) par jour. Lire aussi : \"Nous avons accepté 3 500 $ pour marier notre fille de cinq ans\" Au Nigéria, le refus de scolariser les enfants sanctionné Il est courant de voir des hommes et des femmes aveugles conduits par des garçons et des filles dans de nombreuses rues du Nigéria, en particulier dans la circulation dense où ils tapotent habituellement sur les vitres des voitures, ou autour des églises et des mosquées. Seul Samuel vivait avec la femme, dormant sur un tapis dans sa cabane. Au fil des ans, il raconte qu'environ cinq autres garçons sont venus vivre avec d'autres femmes dans la même cour, chacun loué à des mendiants aveugles. Illustration d'une cour avec des aveugles guidés par des enfants. Samuel soupçonne que quelque chose a dû lui être fait ou donné pendant cette période parce qu'il ne se souvient pas d'avoir pensé à sa famille pendant cette période, ni de se demander ce qu'elle était devenue. \"Je ne suis pas sûr d'avoir eu des émotions à l'époque\", dit-il. \"Juste un zombie qui savait qu'il devait se réveiller et faire sortir un mendiant. Gagner de l'argent, manger et dormir, et la même routine le lendemain\", se souvient-il. La vie d'un esclave Différents mendiants l'engageaient pour une période allant d'une semaine à un mois. A la fin de chaque journée, Samuel et le mendiant dormaient aux côtés des autres dans différents espaces publics. Si un mendiant aimait travailler avec lui, on l'engageait à nouveau pour une autre période. A regarder : Trokosi, l'esclavage des petites filles \"J'étais comme un esclave\", dit-il. \"Je ne pouvais pas dire que je voulais partir et faire quoi que ce soit. Il fallait que je sois toujours là.\" Comme il était toujours en déplacement, Samuel se faisait peu d'amis, ne jouant qu'occasionnellement avec les enfants d'autres mendiants qu'il croisait le soir. Illustration de Samuel Abdulraheem, enfant, guidant un mendiant aveugle. Parfois, les gens leur donnaient à manger pendant qu'ils mendiaient. D'autres fois, ils traînaient dans les restaurants et mangeaient les restes ou fouillaient dans les poubelles. \"J'avais toujours faim. Pendant la journée, lorsque vous travaillez, vous vous asseyez à peine pour manger \", se souvient-il. \"Je ne pensais pas que les mendiants étaient mauvais. Ils se réveillent, mendient, quand les gens se réveillent et vont travailler\", explique Samuel. Jour après jour, Samuel marchait d'un bout à l'autre de Lagos, la main droite d'un mendiant sur son épaule. A écouter : Khaly Niang : ‘’l’exploitation des enfants est un délit’’ Parfois, ils se rendaient dans les États voisins ou au-delà de la frontière jusqu'au Bénin. Si les mendiants recevaient des nouvelles de bienfaiteurs potentiels rassemblés quelque part, ils le disaient à Samuel et il les y emmenait en bus. \"Il y a eu des moments où l'on était si fatigué et où l'on commençait à éviter les gens, mais les aveugles sont très sensibles - leur ouïe - alors ils entendent le son. Parfois, ils vous tordaient l'épaule et disaient : \" Il y a quelqu'un. Pourquoi tu t'en vas ?\", raconte-il \"Ils essaient de gagner autant d'argent que possible\", souligne Samuel. Le \"miracle\" En décembre 2000, un mendiant qu'il guidait a entendu parler de l'événement à la Winners Chapel où il a rencontré sa sœur. Au début, Firdausi était trop choquée pour tendre la main et toucher son frère - qui se souvient encore de son cri. \"Je suis tombée par terre\", dit-elle. Samuel avait l'air décharné, son épaule droite était profondément inclinée et il semblait muet, ne disant pas un mot. A sa vue, Firdausi a fondu en larmes. \"Cela m'a pris un certain temps, mais je savais que c'était quelqu'un que je connaissais - que cette personne était quelqu'un de ma famille \", dit Samuel. Lire aussi : La Belgique s'excuse pour les enlèvements d'enfants métisses à l'époque coloniale Près de 200 élèves enlevés au Cameroun La guérison Aujourd'hui, Firdausi dit qu'elle regrette d'avoir été si heureuse de retrouver son frère qu'elle n'a pas essayé de sauver les autres enfants détenus avec lui. Peu de temps avant son sauvetage, un nouvel enfant était arrivé dans la cour, dit Samuel. Au début, le garçon pleurait sans arrêt et refusait de manger. Soudain, il se tut, amenant Samuel à soupçonner que quelque chose avait été fait ou donné au garçon pour le calmer. Samuel photographié avec sa sœur le jour de son mariage, environ deux ans après qu'elle l'ait trouvé. \"Dans un pays développé, vous iriez porter plainte à la police. Mais ici, la police nous demandait de lui donner de l'argent pour le carburant et tout ça, et je n'avais même pas d'emploi \", dit Firdausi. En outre, le retour de son frère de 13 ans à la vie normale s'est avérée plus difficile qu'elle ne l'avait imaginé. Il n'est pas retourné vivre avec son père et elle s'occupait de lui. Des furoncles et des éruptions cutanées avaient éclaté sur tout son corps, dégageant une odeur nauséabonde. Lire aussi : Cinq grandes causes de suicide chez les hommes Pour vivre longtemps, fuyez la solitude! Son épaule droite est restée pliée pendant plus d'un an, ce qui a nécessité des radiographies et de la physiothérapie avant qu'elle ne cesse de montrer des signes de pression après des années passées à être prise par des mendiants. Leur mère ne reconnaissait pas le plus jeune de ses sept enfants - qui était devenu brutal et hagard. Elle a dû chercher une tache de naissance sur son corps avant de finalement croire que la personne devant elle était bien son fils. L'étudiant Après six ans passés sans éducation formelle, Samuel était à peine alphabétisé. Firdausi a été frustrée par la recherche d'une école - beaucoup ont dit qu'il était trop vieux pour entrer au primaire. Juste au moment où elle avait presque perdu espoir, Firdausi a rencontré une directrice d'école qui les avait vus à l'église. La femme a accepté de l'admettre dans son établissement, tandis que Firdausi a pris des dispositions pour lui offrir des cours privés avec un répétiteur. Samuel Abdulraheem a excellé dans ses études. En trois mois, Samuel est passé du CP au CM2. En moins d'un an, il avait réussi les examens d'entrée au collège. Samuel n'a passé que trois ans à l'école secondaire quand, à 17 ans, il s'est senti assez en confiance pour passer les examens d'entrée à l'université. Il a réussi avec brio, obtenant le meilleur résultat de toute son école, et a été admis à l'Université Ahmadu Bello de Zaria pour y étudier le génie chimique. Lire aussi : La tricherie universitaire, un business qui peut rapporter gros Au Ghana, une enquête sur l'échec massif au concours d'entrée au barreau Malgré ses prouesses académiques, Samuel a finalement arrêté soudainement ses études. D'autres étudiants lui demandaient souvent de l'aide pour leurs devoirs et il a été renvoyé au cours de sa quatrième année après avoir été surpris en train de donner les réponses à un autre étudiant pendant les examens. \"Pas de rancune\" Samuel travaille maintenant comme superviseur sur les chantiers de construction. \"Un jour, quand je serai à l'aise financièrement, j'espère poursuivre mes études \", dit-il, ajoutant que l'informatique pourrait être une option car il est bon avec les gadgets. Samuel n'a aucune rancune à l'égard de ce qu'il a vécu en captivité. Il pense que toutes ces années l'ont façonné et lui ont appris à essayer d'être toujours gentil avec les gens. \"Rien de ce que les gens font ne m'atteint vraiment. Je vois ça comme un mode de vie. Je ne suis pas rancunier\", dit-il. Les souvenirs de la faim constante ont affecté sa relation avec les mendiants et leurs guides aujourd'hui. Il ne leur donne jamais d'argent. \"Je préfère leur acheter à manger. Parce qu'à l'époque, c'était mieux de me donner à manger parce que l'argent allait au mendiant et rien ne me revenait.\" Samuel espère qu'en partageant son histoire, les gens porteront plus d'attention aux mendiants et aux enfants qui les guident souvent. \"Lorsqu'ils voient un mendiant avec quelqu'un, ils devraient réfléchir à deux fois : cet enfant pourrait avoir besoin d'aide\", dit-il. \"Ne vous contentez pas de voir, de donner de l'argent et de vous en aller.\" Illustrations par Manuella Bonomi de la BBC A regarder : Sénégal: qui pour sauver les enfants talibés des rues de Dakar?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47513261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47472935", "doc1": "এমন কিছু খাবার আছে, যা দেখে হয়তো খাবারের আগ্রহ তৈরি হয় না, যদিও সেগুলো পুষ্টিকর খাদ্য বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এরকম খাবারের স্বাদের পার্থক্যের বেশ কয়েক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আমাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে শুরু করে মানসিকতা এবং জীববিজ্ঞানের মতো বিষয়ও। এখানে সেরকম কয়েকটি কারণ বিশ্লেষণ করা হলো: সবচেয়ে বড় কারণ জিন খাবারের স্বাদের জন্য আমাদের ডিএনএ ব���় ভূমিকা রাখে স্বাদ এবং গন্ধের বিষয়টি ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করে। এজন্য দায়ী আসলে আমাদের ডিএনএ। আমাদের জেনেটিক কোড ঠিক করে দেয় কিভাবে কোন বার্তাটি নিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক সেটি কিভাবে প্রক্রিয়া করবে। এর মানে হলো, প্রতিটি খাবারের ঘ্রাণ আমাদের একেক জনের ওপর একেকরকম প্রভাব ফেলে এবং আমরা সবাই আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখাই। আরো পড়ুন: জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব বাঙালিদের কেন আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও চলবে? ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা ২০০৪ সালে আবিষ্কার করেন যে, ঘ্রাণ সনাক্তের বিষয়টি আসলে আমাদের জিনোমের ভেতরে রয়েছে, যা অন্যসব ক্ষেত্রের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এর ফলে ঘ্রাণ সনাক্তে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম আচরণ হয়। ফলে কেন সবাই একই ধরণের খাবার পছন্দ করেন না বা অপছন্দ করেন না, সেটার ব্যাখ্যাও সহজে মেলে। পুরনো দিনের প্রতিরক্ষার বড় অস্ত্র অতীতকালে খাবার গন্ধ বা স্বাদ মানুষকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে আমাদের ঘ্রাণ বা গন্ধ সনাক্তের ক্ষমতাটি একসময় জীবন রক্ষাকারী হিসাবেই বিবেচিত হতো। পৃথিবীতে প্রথম দিকের মানুষরা তাদের ঘ্রাণ সনাক্তের ক্ষমতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, তারা গন্ধ শুকেই ভালো ফলটি সনাক্ত করতে পারতেন আর খারাপটিকে বাদ দিতেন। খারাপ গন্ধ সনাক্ত করতে পারার ফলে সেটি পৃথিবীর ক্ষতির বা বিষাক্ত বস্তু থেকে মানুষকে দূরে রাখতো বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন। একই সময়ে মিষ্টি ঘ্রাণ সনাক্ত করতে পারার ফলে মানুষ সহজেই গ্লুকোজ বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের উৎস খুঁজে বের করতে পারতো- যা ছিল তাদের টিকে থাকার অন্যরকম উপায়। তখন তো আর এখনকার মতো প্রস্তুতকৃত খাবার পাওয়া যেতো না। আপনার জন্মের আগে থেকেই হয়তো ঘ্রাণের বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে আছে মা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় যে খাবার খেয়ে থাকেন, সেগুলো শিশুর স্বাদের ওপর বড় প্রভাব ফেলে থাকে আমাদের স্বাদ গ্রহণের বিষয়টি অনেক সময় মনের ওপরেও নির্ভর করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগে থেকে শিখে থাকি কোন খাবার পছন্দ করতে হবে আর কোনটি অপছন্দের। এটা শুরু হয়ে যায় মানব শিশু তার মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই। দুই হাজার বছরের পুরনো ফরাসি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের খাবার থেকেই পেটে থাকা শিশুটি নানা ঘ্রাণ চিনতে পারে। উদাহর��� স্বরূপ বলা যায়, পেটে শিশু থাকার সময় যে মায়েরা রসুন খেয়েছেন, সেই শিশুরা ঘ্রাণটি অনেক বেশি উপভোগ করে, সেসব শিশুর তুলনায়, যাদের মায়েরা রসুনের সংস্পর্শে আসেননি। ''দুই বছর বয়স পর্যন্ত আমরা সব কিছুই খেতে পারি,'' বলছেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী এলিজাবেথ ফিলিপস। এরপরে নতুন খাবারের বিষয়ে শিশুদের মধ্যে ভীতির তৈরি হয়। ''অভিভাবকরা হয়তো ভাবেন, তাদের সন্তান এই খাবারটি অথবা অন্যটি পছন্দ করে না। আসল ব্যাপারটি হলো, নতুন কোন কিছুই তারা পছন্দ করে না। অনেক সময় এই অপছন্দ পরবর্তী জীবনেও থেকে যায়। বিশেষ করে কোন খাবারের কারণে যদি আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন সেটি স্থায়ীভাবে থেকে যায়।'' লিঙ্গের ভূমিকা আমরা কি খাচ্ছি, সেটি অনেক সময় নির্ভর করে আমাদের লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে খাবার পছন্দ অপছন্দের ক্ষেত্রের লিঙ্গ পরিচয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার আর পুরুষদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখতে পেয়েছেন। সংস্কৃতি, পরিবেশের কারণেই অনেক সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি যে, কি খাবো আর কি খাবো না। এরকম সিদ্ধান্তের সময়েও লিঙ্গ ভেদে খাবার পছন্দ আলাদা হয়ে থাকে। তবে স্বাদ বদলানোর উপায় আছে খাবারের রং পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় চেনা খাবার অচেনা হয়ে উঠতে পারে এত কিছু সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে, মানুষ যে খাবারটি ভালোবাসে, সেটিই অপছন্দ করতে শুরু করলো অথবা যেটি অপছন্দ করে, সেটিই পছন্দ করতে শুরু করেছে কিন্তু কি কারণে এমন পরিবর্তন ঘটে? যতই আপনি নানা ধরণের খাবার যাচাই করে দেখবেন, তখনি আপনার খাবারের ধরণ পাল্টানোর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আবার কোন খাবার পছন্দ করতে আপনার মস্তিষ্ককে বোকা বানানোর মতো কৌশল অনেক সময় সহায়তা করে। যেমন সবজির মধ্যে চিনি দেয়া বা কোন খাবার বা পানীয়ের রং বদলে ফেলা। যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৮০ সালের একটি স্বাদ গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় খেয়েও চোখ বাধা অবস্থায় সেটিকে সনাক্ত করতে পারেননি। অথচ যখন তাদের দেখতে দেয়া হয়েছে যে, তারা কি খাচ্ছেন, তখন তারা সহজেই সেটি সনাক্ত করে ফেলেছেন। যখন একটি লেবু স্বাদের পানীয় কমলা রঙে পাল্টে ফেলা হয়, তখন ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ভাবছিলেন, এটা কমলা স্বাদের পানীয়। কিন্তু একই পানীয় স্বাদ অক্ষুণ্ণ রেখে যখন শুধু রং পাল্টে সবুজ রঙ করে ফেলা হয়, তখন সেই স্বাদ অংশগ্রহণকারীদের কেউ আর সনাক্ত করতে পারেননি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক 'বাবারা সবশেষ ভোট দিয়েছেন, এবার আমরা দিব' ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো ক্রিকেটের কোন ফরম্যাট জনপ্রিয়তায় শীর্ষে?", "doc2": "Certains aliments ne sont pas attrayants. Les scientifiques pensent qu'il y a de nombreuses raisons qui justifient nos goûts. Elles vont de la génétique à la psychologie en passant par la biologie de l'évolution. En voici quelques-unes. Tout est dans les gènes Notre réaction aux goûts dépend de notre ADN. Les goûts et les odeurs sont une affaire individuelle. Et notre ADN est le responsable de nos préférences alimentaires. Notre code génétique aide à déterminer comment notre cerveau traitera les messages sensoriels. Cela signifie que chacun d'entre nous aura des réactions différentes à la saveur des aliments. Lire aussi : Le fonio, la \"plus savoureuse des céréales\", revient dans les assiettes Plutôt viande ou légumes ? L'impact climatique de vos aliments En 2004, des scientifiques de l'Université de Californie ont découvert que nos récepteurs olfactifs se trouvaient dans des régions de notre génome dont la variation génétique était supérieure à la normale. Ces variations peuvent nous donner des perceptions différentes - et aider à expliquer pourquoi tout le monde n'aime pas ou ne déteste pas les mêmes aliments. À l'époque, c'était un bon mécanisme de défense. Les mauvaises réactions aux goûts amers nous ont aidés à rester en vie dans le passé. Notre sens du goût nous a littéralement sauvés la vie. Certains des premiers êtres humains de la planète ont dû trouver un moyen qui leur a permis de choisir les meilleurs aliments - et à éviter les mauvais. Un bon exemple : notre capacité à détecter les goûts amers - les scientifiques disent qu'il a été développé comme un mécanisme de défense contre les toxines potentiellement nocives contenues dans les plantes. Lire aussi : Bien manger et faire du sport, c'est mieux vivre Alimentation : \"Mangez méditerranéen\" En même temps, les goûts sucrés ont évolué au départ pour nous permettre de détecter les sources de glucose (et d'énergie) facilement disponibles et provenant des plantes - une \"ruée vers le sucre\" primaire liée à la survie, car les aliments n'étaient pas facilement disponibles comme ils le sont aujourd'hui. \"C'est pourquoi l'amertume n'est pas très appréciée\", explique Nicholas Archer, expert en arômes au CSIRO, l'agence scientifique nationale australienne. Nos goûts ont peut-être été déterminés avant même notre naissance. La tolérance d'un bébé à la nourriture est scientifiquement liée au régime alimentaire de sa mère pendant la grossesse. Nos perceptions gustatives sont également déterminées par notre esprit. Les psychologues disent que nous apprenons surtout à aimer ou à détester les aliments. Le processus commence dès notre période de gestation. Selon une étude française datant de l'an 2000, le fœtus humain se familiarise avec les odeurs des aliments grâce à sa mère. Les bébés nés de mères qui mangeaient de l'ail, par exemple, étaient beaucoup plus susceptibles d'en apprécier l'odeur que les bébés qui n'y étaient pas exposés dans l'utérus. Lire aussi : Les cafards, c'est bon pour la santé ! Pourquoi vous devez consommer de l'iode \"Jusqu'à l'âge de deux ans, nous mangeons n'importe quoi\", dit la psychologue Elizabeth Phillips, de l'Arizona State University. Après cela, dit Mme Philips, nous développons une phobie des nouveaux aliments. \"Les parents peuvent penser que leurs enfants n'aiment pas tel ou tel aliment, mais il peut se trouver que ce sont toutes les nouveautés qu'ils n'aiment pas. Cette aversion peut durer toute une vie et être façonnée par des phénomènes d'association - un aliment qui nous a rendu malades, par exemple\", ajoute Elizabeth Phillips. Votre sexe joue un rôle Le genre a aussi un rôle à jouer dans nos préférences alimentaires. Le genre a aussi un rôle à jouer dans les aliments que nous aimons. Dans une étude réalisée en 2015, des chercheurs de l'Université du Manitoba, au Canada, ont constaté que les gens associaient les aliments sains à la féminité et les aliments malsains à la masculinité. Le produit avait meilleur goût lorsque les bienfaits pour la santé et le \"sexe\" correspondaient, a écrit Luke Zhu, professeur adjoint en administration des affaires, qui a pris part à cette étude. La culture et l'environnement sont également des facteurs cruciaux, qui déterminent ce que nous mangeons et même ce dont nous avons envie. Et cela inclut les stéréotypes de genre. Mais ne vous inquiétez pas... il y a des façons de changer vos goûts Changer la couleur d'un aliment peut faire croire au cerveau qu'il a meilleur goût. Cela dit, nous finissons souvent par détester ce que nous avions l'habitude d'aimer ou d'aimer ce que nous avions l'habitude de détester. Pourquoi un tel changement ? Plus nous sommes exposé à différents types d'aliments, plus il devient facile de changer nos habitudes alimentaires. Certains gestes, essayer de \"piéger\" notre cerveau pour qu'il aime quelque chose, peuvent nous aider aussi - comme ajouter du sucre aux légumes ou changer la couleur d'un aliment ou d'une boisson. Lire aussi : L'huile de coco, mythes et vertus Une étude de dégustation réalisée en 1980 aux États-Unis montre que les sujets qui avaient les yeux bandés avaient du mal à identifier le goût d'une boisson, mais qu'ils le reconnaissaient facilement lorsqu'on leur permettait de voir ce qu'ils avaient bu. Et lorsqu'une boisson aromatisée au citron était colorée en orange, près de 50 % des répondants pensaient qu'elle avait une saveur orange, ce qu'aucun d'eux n'avait fait quand elle était verte.A regarder : Un menu pour protéger votre santé et la planète"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52808250", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52817589", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন টু্‌ইটার আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে। মি. ট্রাম্প কোনরকম তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে টুইট করেছিলেন: ''ডাকযোগে পাঠানো ব্যালটপত্রে যে ব্যাপক কারচুপি হবে এটা অস্বীকার করার কোন পথই নেই।'' টুইটার এই পোস্টের সাথে একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দিয়েছে এবং এটির সাথে একটি পেজ যুক্ত করে দিয়েছে যাতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই দাবি \"ভিত্তিহীন\"। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর উত্তর আবার টুইট করে বলেছেন সামাজিক মাধ্যমের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটি ''বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে''। কয়েক বছর ধরেই টুইটারের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত টুইট পোস্ট করা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। এসব টুইটে মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে অনেক কিছু উড়িয়ে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ মাসে টুইটার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বিষয়ে তাদের নতুন নীতিমালা চালু করেছে। টুইটারে মি. ট্রাম্পের অনুসারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। তবে সম্প্রতি মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক সহযোগী লোরি ক্লাউসুটিসের মৃত্যু নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে টুইট করেছিলেন যেখানে তার মৃত্যুর জন্য একজন সুপরিচিত সমালোচককে তিনি দায়ী করেছেন- সেই পোস্টটি নিয়ে টুইটার কোন সতর্কবার্তা দেয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ট্রাম্প বলছেন আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত 'সম্মানের' করোনাভাইরাস নয়, চীন এখন আমেরিকার মূল টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড সাময়��কভাবে স্থগিত করা হবে - ট্রাম্প টুইটার কী বলছে? মি. ট্রাম্প পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যে টুইট করেছেন টুইটার সংস্থা তার সঙ্গে একটি নীল রংয়ের বিস্ময়বোধক চিহ্ণ জুড়ে দিয়েছে সতর্কবার্তা হিসাবে এবং সেইসঙ্গে একটি লিংক দিয়েছে যাতে পাঠকদের বলা হয়েছে ''মেল-ইন-ব্যালট বা ডাকে পাঠানো ব্যালট নিয়ে তথ্য যাচাই করে নিন''। এই লিংক পাঠকদের নিয়ে যাচ্ছে একটি পাতায় যেখানে মি. ট্রাম্পের দাবিকে বর্ণনা করেছে ''ভিত্তিহীন'' বলে এবং সেখানে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মহামারির কারণে আমেরিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ডাকযোগে ভোট দেবার জন্য চাপ বাড়ছে, কারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে শংকিত বোধ করছেন সংক্রমণের ভয়ে। একটি গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে আমেরিকার ৬৬% মানুষ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। তার টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও লিখেছেন: ''মেল বক্সে ডাকাতি করা হবে, ব্যালটে কারচুপি হবে, এমনকী অবৈধভাবে সেগুলো ছাপানো হবে এবং জাল সই দেয়া হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভনর লক্ষ লক্ষ মানুষকে ব্যালটপত্র পাঠাচ্ছেন।'' টুইটার তাদের পাতায় ''আপনার যা জানা প্রয়োজন'' এই শিরোনামে লিখেছে যে, ''মি. ট্রাম্প ভুয়া দাবি করেছেন ডাকে পাঠানো ব্যালটের মাধ্যমে 'একটা কারচুপির নির্বাচন' হবে।'' ''তথ্য যাচাইকারীরা বলছেন ভোট কারচুপির সাথে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানোর কোন যোগাযোগ আছে এমন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি,'' তারা বলছেন। টুইটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সাইটে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে তারা সতর্কবার্তা দিয়ে লেবেলের ব্যবহার আরও বাড়াবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এধরনের পদক্ষেপ তারা নিয়েছে দেরি করে। মি. ট্রাম্প ফেসবুকেও ডাকযোগে ভোটের কাগজ সম্পর্কে একই দাবি করেছেন। কিন্তু ফেসবুকে তথ্য যাচাইয়ের ব্যাপারে কোন সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি। মি. ট্রাম্প উত্তরে কী বলছেন? মি. ট্রাম্প এর উত্তরে আমেরিকার নির্বাচনে নাক গলানোর জন্য টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এবছর তেসরা নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন হবার কথা। তিনি বলেছেন, ''টুইটার বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে, এবং, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি এটা হতে দেব না।'' ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অনুস��রীদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। মি. ট্রাম্প এ যাবৎ ৫২ হাজারের বেশি টু্‌ইট করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তার মত পৌঁছে দেবার জন্য তিনি প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য টুইটার ব্যবহার করেন - উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনকে লক্ষ্য করে পোস্ট দেয়া থেকে শুরু করে আমেরিকায় তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে তিনি খুবই বেশি পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে লক্ষ্য করে তিনি মুসলিম বিদ্বেষী টুইট করেছিলেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্টনি জার্চার তখন বলেছিলেন এর মূল লক্ষ্য ছিল আমেরিকাবাসীকে হুঁশিয়ার করে দেশের ভেতরে আসলে একটা রাজনৈতিক বার্তা দেয়া। বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্লেষক জোয়ি টমাস বলছেন মি. টাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, রাজনীতিক ও অন্যান্য ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করতে এতদিন টুইটারকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসলেও এখন তিনি খোদ এই প্ল্যাটফর্মকে ঘায়েল করার লড়াইয়ে নামবেন। আমেরিকায় অনেক মানুষই কোভিড সংক্রমেণর কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও বলেছেন টুইটারের \"এই বাক স্বাধীনতা হরণের নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না\" কিন্তু বিবিসির বিশ্লেষক বলছেন টু্‌ইটার একটি বেসরকারি সংস্থা এবং তাদের মাধ্যম নিয়ে তাদের নিজস্ব নীতি প্রণয়নের অধিকার তাদের আছে। কিন্তু সমস্যা হল টুইটার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বা অন্য কোন বিশ্ব নেতার টুইট নিয়ে এধরনের কোন পদক্ষেপ আগে কখনও নেয়নি। অন্যদিকে মি. ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যের একটা আকর্ষণ রয়েছে তার অনুসারী এবং অন্য টু্ইটার ব্যবহারকারীদের কাছেও। ফলে টুইটার প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের যে বিরাট পাঠককূল আছে সেটাও হারাতে আগ্রহী হবে না। বিবিসির জোয়ি টমাস বলছেন তাদের এই নতুন সর্তকবার্তা দেয়ার পদ্ধতি দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখার একটা নীতি হতে পারে, যেখানে মি. ট্রাম্পের মত বিশ্ব নেতারা অবাধে তাদের মন্তব্য করতে পারবেন, পাঠকও সেগুলো পড়ার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে টু্‌ইটারও ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে পাঠকদের হুঁশিয়ার করে দেবার দায়িত্বটাও পালন করতে পারবে।", "doc2": "Donald Trump accuse Twitter d'interférer dans la présidentielle américaine de 2020 Le président Trump a tweeté : \"Il n'y a AUCUN moyen (ZERO !) que les bulletins de vote par correspondance soient moins que substantiellement frauduleux.\" Twitter a apposé une étiquette d'avertissement sous le message et un tweet ultérieur dans le cadre de sa nouvelle politique sur les informations trompeuses. M. Trump a répondu en tweetant à nouveau, déclarant que le géant des médias sociaux \"étouffe complètement la liberté d'expression\". \"Et en tant que président, je ne permettrai pas que cela se produise\", a-t-il déclaré, accusant Twitter d'interférer dans l'élection présidentielle de 2020 aux États-Unis. La notification de Twitter affiche un point d'exclamation bleu sous les tweets, suggérant aux lecteurs de \"se renseigner sur les bulletins de vote par correspondance\". Lire aussi Brad Parscale, le directeur de campagne de M. Trump, a critiqué la décision de la société de médias sociaux. \"S'associer à des \"vérificateurs de faits\" biaisés est un écran de fumée pour donner une fausse crédibilité aux tactiques politiques évidentes de Twitter. Il y a de nombreuses raisons pour lesquelles nous avons retiré toute notre publicité de Twitter il y a des mois, et le parti pris politique évident est l'une d'entre elles\", a tweeté M. Parscale. Le lien de Twitter dirige les utilisateurs vers une page sur laquelle les affirmations de M. Trump concernant les bulletins de vote par correspondance sont décrites comme \"non fondées\". Le réseau social cite des reportages sur la question faits par CNN, le Washington Post et d'autres médias. Cette page est suivie d'une section \"ce que vous devez savoir\" où Twitter corrige ce qu'il dit être de fausses affirmations du président américain. L'entreprise de médias sociaux s'était engagée à augmenter le nombre d'étiquettes d'avertissement sous les informations fausses ou trompeuses sur son site - mais elle a été lente à prendre des mesures contre le président américain. Twitter a mis à jour sa politique a ce sujet au début de ce mois."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51295306", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51737747", "doc1": "থাইল্যান্ডেও লোকজন মাস্ক পরে চলাচল করছে। এখন এরকমই এক করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে চীনে, যা খুব দ্রুত চীনের বিভিন্ন শহরে তো বটেই, সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কেন এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে এই করোনাভাইরাস? পৃথিবীতে এখন মানুষের সংখ্যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বিশ্ব জনসংখ্যা বর্তমানে ৭৭০ কোটি। এই সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মানুষ এখন একজন আরেকজনের খুব কাছাকাছি বসবাস করছে। অল্প জায়গায় বেশি মানুষ বাস করার অর্থই হলো জীবাণুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ বিসুখের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যেখানে যেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে তার একটি মানচিত্র। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে মানুষ থেকে মানুষে, তাদের হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে। মানুষের দেহের বাইরে এই ভাইরাসটি খুব অল্প সময় বেঁচে থাকতে পারে। ফলে ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে হলে তাদেরকে কাছাকাছি থাকতে হবে। ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ২০১৪ সালে আর সেবার এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল রক্ত কিম্বা শরীর থেকে নির্গত অন্য কোন তরল পদার্থের মাধ্যমে। ফলে রক্ত দান ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। মানুষের ঘনবসতি সব ভাইরাস কিন্তু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। এমনকি জিকা ভাইরাসও, যা মানুষের ��রীরে আসে মশা থেকে, সেটাও লোকজন ঘনিষ্ঠ বসবাস করলে ছড়াতে পারে। যেসব এলাকায় মানুষের ঘনবসতি, সেখানে জিকা ভাইরাস-বাহী মশা মানুষের রক্ত খেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাদের জন্মের বিস্তার ঘটে আদ্র, স্যাঁতসেঁতে ও উষ্ণ পরিবেশে। ২০০৭ সালের পর থেকে শহরাঞ্চলে মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এরকম এলাকা পৃথিবীর মোট জমির মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু এইটুকুন জায়গাতেই বাস করে ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ। শুধু তাই নয়, লোকজন এখন এমন শহরের দিকে ছুটে যাচ্ছে যেগুলো এখনও বসবাসের জন্যে প্রস্তুত নয়। আরো পড়তে পারেন: উহান থেকে বিদেশিদের সরিয়ে নেয়া শুরু চীনের ভাইরাস আক্রান্ত উহানের একাত্মতার গল্প করোনাভাইরাস: চীনে থাকা বাংলাদেশিরা কেমন আছেন? বিমানের ভেতরে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। ফলে অনেক মানুষের আশ্রয় হয় বস্তি এলাকায় যেখানে পরিষ্কার খাবার পানি নেই, পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থাও খুব খারাপ। ফলে এরকম পরিবেশে খুব দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। গণ-পরিবহন এছাড়াও সংক্রামক ভাইরাস শহর থেকে শহরে, দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে পরিবহনের মাধ্যমে। বিমান, রেল, গাড়িতে করে এখন ভাইরাস পৃথিবীর অর্ধেক দূরত্বও পাড়ি দিতে পারে একদিনেরও কম সময়ে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পাওয়া গেছে কমপক্ষে ১৬টি দেশে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে বিমানে চলাচল করেছে ৪৫০ কোটি যাত্রী। কিন্তু মাত্র ১০ বছর আগেও তাদের সংখ্যা ছিল ২৪০ কোটি। চীনে দ্রুত গতির যে ট্রেন চলে তার প্রধান একটি স্টেশন উহান। এই শহরটি থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। তাছাড়াও এই ভাইরাসটি এমন সময়ে দেখা দিয়েছে যখন চীনের কোটি কোটি মানুষ তাদের নব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় ছুটিতে সারা দেশে ভ্রমণ করছে। চীনা নব বর্ষের সময় সাধারণত সারা দেশে ৩০০কোটি বারেরও বেশি ট্রেন চলাচল করে থাকে। ৫ থেকে ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ১৯১৮ সালে। ওই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটি পরিচিত স্প্যানিশ ফ্লু নামে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে, মানুষ যখন ইউরোপের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাচ্ছিল, তখনই ওই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। ভাইরাসটি যখন ছড়াচ্ছিল তখন সৈন্যরা ফিরে যাচ্ছিল যার যার নিজেদের দেশে। একই সঙ্গে তারা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও। এই ভাইরাস তারা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যেখানে তখনও ভাইরাস প্রতিরোধী কোন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার কাছেও ওই ভাইরাসটি ছিল একেবারেই অচেনা ও নতুন। ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপের সময় আক্রান্ত লোকজনকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: ছয় দিনে হাসপাতাল বানাবে চীন? ছয় দিনে হাসপাতাল ও যত আলোচিত ছবি করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী ভাইরোলজিস্ট জন অক্সফোর্ডের একটি গবেষণা অনুসারে ওই ভাইরাসটির উৎস ছিল একটি ক্যাম্প, যেখান দিয়ে প্রতিদিন এক লাখের মতো সৈন্য অতিক্রম করেছে। সেসময় বিমান চলাচলেরও তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু তারপরেও ওই ভাইরাসটি পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। ধারণা করা হয় ওই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে পাঁচ থেকে ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই ভাইরাসটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে সময় নিয়েছিল ৬ থেকে ৯ মাস। আর বর্তমানে, যখন আমরা মাত্র একদিনেই সারা পৃথিবী ঘুরে আসতে পারি, সেখানে তো এই ভাইরাস আরো অনেক দ্রুত গতিতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। পশুপাখি ও মাংসের চাহিদা ইবোলা, সার্স এবং এখনকার করোনাভাইরাস - এগুলো সবই জুনোটিক ভাইরাস। এগুলো প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে মানব দেহে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই ভাইরাসটি হয়তো সাপ থেকেই এসেছে। আজকের দিনে যতো অসুখ আছে তার চারটির প্রায় তিনটিই হয় জুনোটিক ভাইরাসের কারণে। সারা বিশ্বেই খাদ্য হিসেবে মাংসের চাহিদা বাড়ছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশুপাখির চাষও। ফ্লু ভাইরাস সাধারণত গৃহপালিত পশুপাখি থেকেই মানুষের দেহে ছড়ায়। ফলে মানুষের এখন আক্রান্ত পশুপাখির সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাস মানবদেহে এসেছে বন্যপ্রাণী থেকে। চীনে জনবহুল এলাকাতেও আছে এসব প্রাণীর বাজার। এ থেকেও বোঝা যায় চীনে এই ভাইরাসটি কীভাবে এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো। এছাড়াও শহরের আকার বেড়ে যাওয়ায় লোকজন গ্রামীণ এলাকায় চলে আসায় তারা বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শে আসছে বেশি। এরকম ভাবেই ছড়িয়ে পড়ছে লাসা জ্বর। গাছপালা কেটে মানুষ যখন সেখানে চাষাবাদ করছে, তখন সেখান থেকে ইঁদুর মানুষের বাড়িঘরে চলে আসছে এবং তারা তাদের সাথে করে নিয়ে আসছে লাসা জ্বর। পশ্চিম আফ্রিকাতে ইবোলা ভাইরাসের প���রকোপ দেখা দিলে সেটি ধরতে সময় লেগেছিল। পৃথিবীর এক জায়গা এখন আরেক জায়গার সাথে অনেক বেশি সংযুক্ত কিন্তু সারা পৃথিবীতে একসাথে কাজ করবে এরকম সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি এখনও। এই প্রকোপ ঠেকাতে ভাইরাসটি যেদেশে উৎপত্তি হয়েছে আমরা সেই দেশের সরকারের ওপরেই নির্ভর করি। তারা ব্যর্থ হলে সারা পৃথিবীর মানুষ ঝুঁকিতে পড়ে যায়। পশ্চিম আফ্রিকায় গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিয়ন যখন ইবোলা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলো তখনই সেটা পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়লো। পশ্চিম আফ্রিকাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১,৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সৌভাগ্য যে ওই ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল তুলনামূলক ভাবে অনেক ধীর গতিতে। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায়, সেগুলো অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যসেবা ও বিনিয়োগ দরিদ্র এলাকাতে যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খারাপ, সেখানে এটি দ্রুত ছড়াবে। শিক্ষা, সচেতনতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব হলে এই ঝুঁকি আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। একই সাথে এসব দেশ থেকে স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ লোকেরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এছাড়াও যেসব রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে সেসব মোকাবেলায় কেউ তাদের সীমিত সম্পদ ব্যবহার করতে চায় না। যখন সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ দেখা দিয়েছিল তখন সারা বিশ্বেই এর ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু ভাইরাসটি ততোটা মারাত্মক না হওয়ায় পরে এই উদ্যোগেরও সমালোচনা হয়েছে। এসব ভাইরাস মোকাবেলায় ওষুধ তৈরির জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি থাকলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগ করে না। কারণ এসব ভাইরাসে যদি মাত্র কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয় তা থেকে এই কোম্পানিগুলো বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে না। আমরা জানি যে ভাইরাসের প্রকোপ ঘটবে কিন্তু আমরা জানতে পারি না যে কখন ও কোথায় এই প্রকোপ দেখা দেবে। এর ফলে কোথাও সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপের খবর আমাদের কাছে সবসময় বিস্ময় হিসেবেই আসে। গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এক শিশুকে ইবোলা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সুখবর হচ্ছে, গবেষণায় দেখা গেছে, এখন রোগের প্রকোপ বেশি হলেও এতে অল্প সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। যখন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে, যেমনটা আমরা চীনে দেখছি, সাথে সাথে স্বাস্থ্য সেবাও উন্নত হচ্ছে। কীভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও এড়িয়ে চলা যায় তার তথ্যও খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের মতো একটি দেশ ১,০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারে মাত্র এক সপ্তাহে। ১৯১৮ সালে এটা ছিল কল্পনাতীত বিষয়। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের প্রস্তাব 'শতকের সেরা' নাকি জুয়া? আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল আপনার কোন তথ্যগুলো গোপনীয় জানেন কি?", "doc2": "En Thaïlande, les gens portent des masques après que six touristes chinois aient été diagnostiqués avec le coronavirus de Wuhan La population mondiale compte actuellement 7,7 milliards d'habitants. Et nous vivons de plus en plus près les uns des autres. Plus de personnes dans des espaces réduits implique un risque plus élevé d'exposition aux agents pathogènes qui causent des maladies. A lire aussi sur BBC Afrique: Le site web Healthmap.org suit les épidémies telles qu'elles sont enregistrées à travers le monde : toutes ces épidémies se produisent maintenant Le coronavirus de Wuhan semble se transmettre d'une personne à l'autre par des gouttelettes lorsqu'elle tousse ou éternue. Le virus survit pendant un temps limité à l'extérieur du corps, de sorte que les gens doivent être relativement proches les uns des autres pour le propager. En 2014, l'épidémie d'Ebola s'est propagée par le sang ou d'autres liquides organiques, seules les personnes en contact étroit pouvaient l'attraper. Mais tous les virus ne se transmettent pas d'homme à homme. Même Zika, qui passe des moustiques aux humains, est facilité lorsque nous sommes à proximité. Les moustiques Zika prospèrent dans les zones urbaines où ils peuvent se nourrir de sang humain. Ils se reproduisent bien dans les endroits densément peuplés, humides et chauds. Depuis 2007, plus d'humains vivent dans les villes. Plus de quatre milliards de personnes vivent aujourd'hui sur 1 % des terres émergées de la planète. Et beaucoup de villes où nous nous installons ne sont pas prêtes pour nous. Tant de gens se retrouvent dans des bidonvilles où ils n'ont pas d'eau courante propre ni de bon système d'égouts, ce qui fait que les maladies se propagent rapidement. Nous nous déplaçons Les voyages internationaux ont permis au coronavirus de se propager rapidement dans plus d'une douzaine de pays Les avions, les trains et les automobiles font qu'un virus peut parcourir la moitié du globe en moins d'une journée. Quelques semaines après l'apparition du coronavirus, des cas ont été suspectés dans plus de 16 pays. En 2019, les compagnies aériennes ont transporté 4,5 milliards de passagers, contre 2,4 milliards seulement dix ans plus tôt. Wuhan est l'une des principales stations du service ferroviaire à grande vitesse chinois et le virus a frappé au moment où la Chine était sur le point d'entreprendre la plus grande migration humaine de l'histoire - plus de trois milliards de voyages sont effectués à travers le pays à l'occasion du Nouvel An chinois. L'une des pires pandémies jamais enregistrées a été la grippe de 1918, connue sous le nom de grippe espagnole. Elle a éclaté en Europe à une autre époque de migration massive, vers la fin de la Première Guerre mondiale. Alors que la grippe se propageait, les soldats rentraient dans leur pays et ramenaient la grippe avec eux. Ils ont apporté le virus dans des communautés qui n'avaient pas développé de résistance au virus, prenant le système immunitaire complètement par surprise. Lors de l'épidémie de grippe de 1918, les entrepôts ont dû être convertis pour maintenir les personnes infectées en quarantaine Selon une étude du virologue John Oxford, la source du virus aurait pu être un camp de transit, par lequel passaient chaque jour environ 100 000 soldats. Même à une époque précédant le voyage en avion, l'épidémie s'est propagée dans presque toutes les régions du monde. Elle a tué entre 50 et 100 millions de personnes. Il a tout de même fallu six à neuf mois à la grippe espagnole pour se propager dans le monde entier. Dans un monde où nous pouvons faire le tour de la planète en une journée, un nouveau virus de la grippe pourrait se propager beaucoup plus rapidement. Plus de viande, plus d'animaux, plus de maladies À mesure que des pays comme la Chine s'enrichissent, ils ont tendance à manger - et à cultiver - plus de viande Le virus Ebola, le SRAS et maintenant le coronavirus de Wuhan sont tous des virus zoonotiques - ils ont été transmis à l'homme par des animaux. Le nouveau coronavirus semble provenir d'un marché de viande à Wuhan - les premiers études indiquent qu'il pourrait provenir de serpents vivants. Aujourd'hui, environ trois nouvelles maladies sur quatre sont des zoonoses. Notre désir mondial de viande augmente, l'agriculture animale se développe à mesure que certaines parties du monde s'enrichissent et prennent goût à une alimentation plus équilibrée. Les virus de la grippe ont tendance à atteindre l'homme par l'intermédiaire des animaux domestiques. La probabilité que des animaux infectés entrent en contact avec l'homme est donc également en hausse. Les coronavirus passent des animaux sauvages à l'homme. En Chine, les marchés d'animaux vivants et de viande sont courants dans les zones densément peuplées. Cela pourrait expliquer pourquoi deux des dernières épidémies ont pris naissance dans ce pays. Par ailleurs, à mesure que nos villes s'étendent, nous nous enfonçons dans les zones rurales où les humains entrent en contact avec des animaux sauvages. La fièvre de Lassa est l'un des virus qui se propagent de cette manière : alors que les gens coupent les forêts pour utiliser la terre à des fins agricoles, les rats vivant sur la terre se réfugient dans les maisons et apportent avec eux la fièvre de Lassa. Nous ne sommes tout simplement pas prêts Lorsque le virus Ebola a frappé l'Afrique de l'Ouest en 2013, il n'y avait jamais été vu auparavant, et le personnel médical a tardé à le détecter Bien que le monde soit plus connecté que jamais, nous n'avons toujours pas de système de santé mondial capable de répondre à ces menaces. Pour enrayer l'épidémie, nous comptons sur le gouvernement du pays où elle se déclare. S'ils échouent, c'est toute la planète qui est en danger. Cela n'a été nulle part aussi évident qu'en Afrique de l'Ouest lors de l'épidémie d'Ebola. Lorsque les systèmes de santé locaux en Guinée, au Liberia et en Sierra Leone ont échoué, le virus s'est propagé. Le virus Ebola a tué 11 310 personnes en Afrique de l'Ouest. A regarder sur BBC Afrique: Coronavirus: comment les germes se propagent Heureusement pour le reste de la planète, c'est un virus qui se propage relativement lentement, mais les virus respiratoires comme la grippe ou le coronavirus se propagent beaucoup plus rapidement. Le fait que les épidémies soient plus susceptibles de se produire dans des endroits pauvres où les systèmes de santé sont faibles n'aide pas. L'absence de réglementation ou d'éducation en matière d'hygiène et d'assainissement, ainsi que la densité des populations, sont autant de facteurs qui augmentent le risque. Dans le même temps, nombre de ces pays connaissent une fuite des cerveaux de leurs meilleurs professionnels de la santé. Très peu de systèmes de santé sont prêts à investir leurs maigres ressources dans des épidémies extrêmes qui pourraient ne pas se produire. Lorsque la grippe porcine est apparue, les médicaments ont été distribués dans le monde entier, mais on a critiqué cette réaction excessive parce que le virus s'est avéré très bénin. Bien que nous disposions de la technologie nécessaire pour mettre au point des médicaments capables d'éliminer certains de ces virus, l'investissement des entreprises pharmaceutiques n'en vaut tout simplement pas la peine - si cela ne doit tuer que quelques milliers de personnes, il n'y a pas d'argent à gagner. Même si nous savons qu'ils arrivent, pour la plupart des épidémies, nous ne pouvons pas prévoir quand et où, et les épidémies de maladies infectieuses nous prennent presque toujours par surprise. Les bonnes nouvelles Un vaccin contre le virus Ebola a été développé depuis l'épidémie dévastatrice en Afrique de l'Ouest Même si nous voyons plus d'épidémies que jamais auparavant, moins de gens tombent malades et en meurent, selon une étude de la Royal Society, une académie scientifique britannique. Lorsque les économies connaissent une croissance rapide, comme nous l'avons vu en Chine, l'hygiène de base et l'accès aux soins de santé s'améliorent. Il en va de même pour les systèmes de communication qui diffusent des messages sur la manière d'éviter l'infection. Les traitements sont meilleurs, plus de gens y ont accès et nous nous améliorons également en matière de prévention. Les vaccins sont mis au point beaucoup plus rapidement. Bien que le système de réponse mondial ne soit pas parfait, nous nous améliorons dans la détection des épidémies et la réponse à celles-ci. Un pays comme la Chine peut construire un hôpital de 1 000 lits en une semaine, ce qui aurait semblé être un rêve en 1918."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51006735", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51009172", "doc1": "ইরানের এক সামরিক প্রদর্শনীতে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল। জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরানের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি এমনিতেই খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ইরানের এই ঘোষণার পর এই চুক্তি ভেঙ্গে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন, ইরান কি তাহলে এখন পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে হাত দিতে চলেছে? যদি তারা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুরোদমে পরমাণু কর্মসূচি চালাতে থাকে, তাহলে কত দ্রুত তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে? ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, সেজন্যেই তাদের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো। প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় একটি 'বাজে চুক্তি' বলে বর্ণনা করে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে এখনো এই চুক্তির গুরুত্ব আছে। এই পরমাণু চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক তদারকিতে রাখা। ইরান দাবি করে যে তারা শান্তিপূর্ণ কাজেই তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করতে চায়। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের শংকা আরও বাড়ছে কিন্তু পরমাণু চুক্তিটির সবচেয়ে বড় গুরুত্ব ছিল- এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের শঙ্কা দূর করেছিল। এই চুক্তির আগে এমন আশংকা ছিল যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোর নামে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যখন এই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে গেল, তারপর থেকে ইরান ক্রমাগত এই চুক্তিতে আরোপ করা কিছু বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে চলেছে। কিন্তু জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ইরান এখন মনে হচ্ছে সব বিধিনিষেধই উপেক্ষা করবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান এখন তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে কোন দিকে নিয়ে যাবে? যেমন ধরা যাক, তারা কি ইউরেনিয়াম পরিশোধন ২০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাবে? ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা বাড়িয়ে পরমাণু অস্ত্রের উপকরণ পেতে ইরানের সময় লাগবে বড়জোর একবছর পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম পরিশো���নের মাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইরান যদি এখন সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, তাহলে বোমা তৈরির উপকরণ পেতে তাদের অনেক কম সময় লাগবে। কিন্তু ইরান কি এই সময়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তদারকির বর্তমান ব্যবস্থা মেনে চলবে? অন্যান্য খবর: সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি অস্ট্রেলিয়ায় স্বস্তির বৃষ্টি, কিন্তু আগুন নেভবার আশ্বাস নেই ব্যস্ত রাস্তা থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যা করতে চেয়েছিল, মনে হচ্ছে তারা সেই জায়গায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু বিশ্বের অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিল। একই সঙ্গে ইরান যে চুক্তিটি মেনে চলছে না, তা নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে ইরানের ক্ষমতাধর একজন জেনারেলকে হত্যার সিদ্ধান্ত দিলেন, সেটি তাদের স্তম্ভিত করেছে। এই ঘটনা এখন ইরান আর যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। কত দ্রুত ইরান বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরান যদিও সবসময় বলে এসেছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজের জন্য, তারপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে সংশয় ছিল। জাপানে প্রথম যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই 'লিটল বয়' নামের বোমার রেপ্লিকা। ২০১০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয় পরমাণু চুক্তির পর। চুক্তিটিতে বলা হয়েছিল, ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং পরমাণু জ্বালানি- উভয় ক্ষেত্রেই পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের দরকার হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে 'হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর' নতুন করে তৈরি করতে হয়। পরমাণু বোমার আরেকটি উপাদান প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায় এই রিয়েক্টরে ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা চুক্তি অনুযায়ী এই রিয়েক্টর নিয়মিত পরিদর্শন করার কথা। ২০১৫ সালের আগে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের বিরাট মওজুদ ছিল ইরানে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, প্রায় বিশ হাজার সেন্ট্রিফিউজেস ছিল তাদের। দশটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট এগুলো। ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি নিষেধা��্ঞা তুলে না নিলে ইউরেনিয়াম পরিশোধন আবার শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সেসময় মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ইরান যদি খুব তাড়াহুড়ো করে কোন পরমাণু বোমা বানাতে চায়, তাদের সময় লাগতে পারে দুই হতে তিন মাস। তবে এখন যেহেতু আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক সীমিত, তাই বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও ইরানের সময় লাগবে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে এক বছর। তবে ইরান যদি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করে, তাহলে ছয় মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে এটি করা সম্ভব। পরমাণু চুক্তির অন্য দেশগুলো অবশ্য এখনো আশা করছে ইরান ঐ পথে যাবে না। রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চুক্তি-বিরোধী কিছু না করার জন্য।", "doc2": "L'Iran déclare qu'il ne respectera plus les limites fixées dans l'accord nucléaire historique Cette décision fait suite à l'assassinat vendredi par les États-Unis du commandant militaire supérieur de l'Iran, Qasem Soleimani. Mais l'Iran n'a pas officiellement quitté l'accord nucléaire, connu sous le nom de JCPOA (Joint Comprehensive Plan of Action), et déclare qu'il respectera les termes de l'accord si les autres nations impliquées acceptent également de le faire à nouveau. Lire aussi : L'Iran continuera également à permettre aux inspecteurs de l'organe de surveillance nucléaire de l'ONU, l'AIEA, de surveiller ses activités. Mais le pays soutient maintenant qu'il n'aura aucune restriction sur la quantité de matières nucléaires qu'il produira, ni sur la façon dont ces matières seront enrichies, et \"qu'il procédera dorénavant en fonction de ses exigences techniques\". Comment l'accord nucléaire a-t-il été conclu ? Le JCPOA a été considéré comme une percée diplomatique majeure En 2015, l'Iran a conclu un accord à long terme sur son programme nucléaire avec un groupe de puissances mondiales connu sous le nom de P5+1 - les États-Unis, le Royaume-Uni, la France, la Chine, la Russie et l'Allemagne. Cet accord est intervenu après des années de tension sur les efforts présumés de l'Iran pour développer une arme nucléaire. Lire aussi : L'Iran a insisté sur le fait que son programme nucléaire était entièrement pacifique, mais la communauté internationale n'y a pas cru. En vertu de l'accord, l'Iran a accepté de limiter ses activités nucléaires sensibles et d'autoriser l'entrée d'inspecteurs internationaux en échange de la levée de sanctions économiques paralysantes. Quand est-ce que ça a commencé à s'effondrer ? Le président Donald Trump est un critique de longue date du JCPOA Le président américain Donald Trump a abandonné l'accord en mai 2018 et a rétabli les sanctions américaines. Il voulait un nouvel accord qui permettrait également de freiner le programme de missiles balistiques de l'Iran et son implication dans des conflits régionaux. Tous les autres signataires - le Royaume-Uni, la France, la Russie, la Chine, l'Allemagne et l'UE - auraient voulu poursuivre l'accord. Lire aussi : L'Iran a refusé de négocier un nouvel accord et a vu la valeur de sa monnaie s'effondrer et son taux d'inflation monter en flèche au moment où les sanctions ont pris effet. Lorsque les sanctions ont été renforcées en mai 2019, l'Iran a cessé de respecter certains engagements pris dans le cadre de l'accord. Quelles règles l'Iran devait-il respecter ? Voici les engagements énoncés dans le Plan d'action global conjoint. Enrichissement de l'uranium Le stock d'uranium de l'Iran sera réduit de 98% à 300 kg pendant 15 ans L'uranium enrichi est utilisé pour fabriquer du combustible pour les réacteurs nucléaires, mais aussi pour les armes nucléaires. L'Iran possède deux installations - Natanz et Fordo - où l'hexafluorure d'uranium gazeux est introduit dans des centrifugeuses pour séparer l'isotope le plus fossile, l'U-235. Lire aussi : L'uranium faiblement enrichi, qui a une concentration de 3 à 4 % d'U-235, peut être utilisé pour produire du combustible pour les centrales nucléaires. L'uranium \"de qualité militaire\" est enrichi à 90 %. En juillet 2015, l'Iran disposait de près de 20 000 centrifugeuses. En vertu de la JCPOA, il était limité à l'installation à Natanz de 5 060 centrifugeuses parmi les plus anciennes et les moins efficaces jusqu'en 2026 - 10 ans après le \"jour d'application\" de l'accord en janvier 2016. Le stock d'uranium de l'Iran a été réduit de 98% à 300 kg, un chiffre qui ne doit pas être dépassé avant 2031. Il doit également maintenir le niveau d'enrichissement du stock à 3,67 %. En janvier 2016, l'Iran a réduit de façon drastique le nombre de centrifugeuses installées à Natanz et à Fordo, et a expédié des tonnes d'uranium faiblement enrichi en Russie. De plus, la recherche et le développement doivent se faire uniquement à Natanz et être limités jusqu'en 2024. Retour sur les grandes lignes de l'accord nucléaire iranien, négocié en 2015 Lire aussi : Aucun enrichissement n'est autorisé à Fordo avant 2031, et l'installation souterraine devait être transformée en centre nucléaire, physique et technologique. Les 1 044 centrifugeuses du site produiront des radio-isotopes destinés à la médecine, à l'agriculture, à l'industrie et à la science. Cheminement du plutonium L'Iran est en train de reconcevoir le réacteur Arak pour qu'il ne puisse produire aucun plutonium de qualité militaire L'Iran avait construit une installation nucléaire à eau lourde près de la ville d'Arak. Le combustible usé d'un réacteur à eau lourde contient du plutonium pouvant servir à la fabrication d'une bombe nucléaire. Les puissances mondiales voulaient à l'origine qu'Arak soit démantelée en raison du risque de prolifération. Visite d'Emmanuel Macron aux Etats-Unis Lire aussi : En vertu d'un accord nucléaire provisoire conclu en 2013, l'Iran a accepté de ne pas mettre en service le réacteur ni de l'alimenter en combustible. Aux termes de l'accord, l'Iran a déclaré qu'il allait revoir la conception du réacteur de manière à ce qu'il ne puisse pas produire du plutonium de qualité militaire et que tout le combustible irradié serait expédié hors du pays tant que le réacteur modifié existerait. L'Iran n'est pas autorisé à construire de nouveaux réacteurs à eau lourde ni à accumuler un quelconque excédent d'eau lourde avant 2031. Activité secrète L'Iran est tenu d'autoriser les inspecteurs de l'AIEA à accéder à tout site qu'ils jugent suspect Au moment de l'accord, Barack Obama, qui était alors président des Etats-Unis, s'était dit confiant que le JCPOA empêcherait l'Iran de construire un programme nucléaire en secret. L'Iran, a déclaré l'administration Obama, s'était engagé à \"une surveillance, une vérification et une inspection extraordinaires et solides\". Les inspecteurs de l'AIEA, le chien de garde mondial du nucléaire, surveillent en permanence les sites nucléaires déclarés de l'Iran et vérifient également qu'aucune matière fissile n'est déplacée secrètement vers un endroit secret pour construire une bombe. Qu'est-ce qui a poussé le régime nord-coréen à utiliser les armes nucléaires ? Lire aussi : L'Iran a également accepté d'appliquer le Protocole additionnel à son accord de garanties avec l'AIEA, qui permet aux inspecteurs d'accéder à tout site dans le pays qu'ils jugent suspect. Jusqu'en 2031, l'Iran est tenu de répondre aux demandes d'accès de l'AIEA dans un délai de 24 jours. En cas de refus, une commission mixte de huit membres - dont l'Iran - se prononcera sur la question. Elle peut décider de mesures punitives, y compris la réimposition de sanctions. Un vote majoritaire de la commission suffit. L'Iran a-t-il failli fabriquer une bombe ? Une interdiction des Nations Unies sur l'importation de la technologie des missiles balistiques restera en vigueur pendant une période pouvant aller jusqu'à huit ans Avant juillet 2015, l'Iran disposait d'un important stock d'uranium enrichi et de près de 20.000 centrifugeuses, assez pour créer de huit à dix bombes, selon le gouvernement Obama. Les experts américains avaient alors estimé que si l'Iran avait décidé de se précipiter pour fabriquer une bombe, il faudrait deux à trois mois pour qu'il ait assez d'uranium enrichi à 90% pour construire une arme nucléaire - ce qu'on appelle le \"temps de rupture\". L'administration Obama a déclaré que le JCPOA supprimerait les éléments clés dont l'Iran aurait besoin pour créer une bombe et porterait son délai de lancement à un an ou plus. L'Iran a également accepté de ne pas se lancer dans des activités, notamment de recherche et développement, qui pourraient contribuer à la mise au point d'une bombe nucléaire. Pourquoi la Corée du Nord a-t-elle décidé de passer au nucléaire? Lire aussi : En décembre 2015, le Conseil des gouverneurs de l'AIEA a voté pour mettre fin à son enquête de dix ans sur les dimensions militaires possibles du programme nucléaire iranien. Le directeur général de l'Agence, Yukiya Amano, a déclaré que le rapport concluait que jusqu'en 2003, l'Iran avait mené \"un effort coordonné\" sur \"une série d'activités pertinentes pour le développement d'un dispositif explosif nucléaire\". L'Iran a poursuivi certaines activités jusqu'en 2009, mais après cela, il n'y a plus \"d'indications crédibles\" de développement d'armes, a-t-il ajouté. L'Iran a également accepté que l'embargo des Nations unies sur les armes soit maintenu pour une période allant jusqu'à cinq ans, mais il pourrait prendre fin plus tôt si l'AIEA est convaincue que son programme nucléaire est entièrement pacifique. Une interdiction des Nations unies sur l'importation de la technologie des missiles balistiques serait également maintenue pour une durée pouvant aller jusqu'à huit ans. L'effet des sanctions L'Iran a estimé que la chute des exportations de pétrole lui coûtait entre 4 et 8 milliards de dollars chaque mois Les sanctions précédemment imposées par l'ONU, les États-Unis et l'UE pour tenter de forcer l'Iran à cesser l'enrichissement de l'uranium ont paralysé son économie, coûtant au pays plus de 160 milliards de dollars (plus de 93 mille milliards FCFA) en recettes pétrolières pour la seule période 2012-2016. Dans le cadre de l'accord, l'Iran a eu accès à plus de 100 milliards de dollars d'actifs gelés à l'étranger et a pu recommencer à vendre du pétrole sur les marchés internationaux et à utiliser le système financier mondial pour le commerce. Toutefois, comme nous l'avons déjà mentionné, le président américain Donald Trump a abandonné cet accord historique en 2018 et a rétabli les sanctions visant à la fois l'Iran et les États qui commercent avec lui. Accord iranien : réactions en cascade Lire aussi : Ces sanctions ont entraîné un ralentissement de l'économie iranienne, poussant la valeur de sa monnaie à des niveaux historiquement bas, quadruplant son taux d'inflation annuel, chassant les investisseurs étrangers et déclenchant des protestations. Le Royaume-Uni, l'Allemagne et la France, qui se sont tous opposés aux sanctions, ont mis en place un mécanisme de paiement alternatif visant à aider les entreprises internationales à commercer avec l'Iran sans avoir à subir les sanctions américaines. Mais en mai 2019, l'Iran a suspendu ses engagements au titre de l'accord et a donné aux autres signataires un délai de 60 jours pour se protéger des sanctions américaines - sinon il a déclaré qu'il reprendrait la production d'uranium hautement enrichi. L'Agence internationale de l'énergie atomique (AIEA) a déclaré que l'Iran avait déjà augmenté sa production d'uranium enrichi - mais on ne sait pas de combien. Les sud-coréens nous disent ici comment ils se sentent par rapport aux actions de leurs voisins."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49195239", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53802200", "doc1": "সিসিটিভি ফুটেজের ছবি। অপহরণকারীদের একজনের কোলে শিশুটি। পাশেই ঘুমিয়ে আছেন তার মা। জামশেদপুরের রেল স্টেশনে ওই শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে যখন ঘুমাচ্ছিল, তখনই তাকে অপহরণ করা হয়। এতে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ - যারা দুজনেই এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটেছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের একজনের মা ঝাড়খণ্ড পুলিশের কর্মী, অন্যজনের বাবা কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের। ঝাড়খণ্ডের পুলিশ বলছে, ২৫ জুলাই রাতে ইস্পাত নগরী বলে পরিচিত জামশেদপুর বা টাটানগর রেল স্টেশনে মায়ের সঙ্গে ছোট্ট শিশুটি ঘুমিয়ে থাকার সময়ই দুই ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। ওই শিশুটির মা পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বাড়ি ছেড়ে উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছিলেন এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে। পথে টাটানগর স্টেশনে থেমেছিলেন তারা। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে নিজের পুরুষ সঙ্গীর নামেই শিশু অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তখন মায়ের পুরুষ-সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে জেলেও পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তারপরে ক্লোজড সার্কিট টিভির ফুটেজ দেখে শিশুটির অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জামশেদপুরের রেল-পুলিশের এস পি এহতেশাম ওয়াকারীব বিবিসিকে বলছিলেন, \"প্রথমে ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তার পুরুষ-সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হলেও সিসিটিভির ফুটেজ থেকে অপহরণকারীদের ছবি নিয়ে সেটা গোয়েন্দাদের মধ্যে আর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সূত্রেই খবর আসে যে রিঙ্কু সাহু নামের এক যুবক এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।\" সিসিটিভি ফুটেজে রেল স্টেশনের ছবি। আরো পড়তে পারেন: '৬ মাসে প্রায় ৪০০ শিশু ধর্ষণের শিকার' শিশু ধর্ষণ ঠেকাতে যেসব ঘাটতি রয়েছে 'ছাদ দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল' পুলিশ প্রথমে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পায় নি। অন্যান্য জেলাতে তল্লাশি টিম পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। \"অপরাধের কথা সে স্বীকার করেছে। সে-ই দেখিয়ে দেয় যে কোথায় ওই শিশুটির দেহ পুঁতে রেখেছিল। অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তি কৈলাশ কুমারের নামও সে-ই জানায়। দুজনেই এখন পুলিশ হেফাজতে,\" বলছিলেন এহতেশাম ওয়াকারীব। গতবছর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি তিনমাসের শিশুকেও অনেকটা একই ভাবে তার ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মাথা থেঁতলে মেরে ফেলে এক ব্যক্তি। পরে ২২ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে তাকে মৃত্যুদণ্ড তেয় সেখানকার আদালত। বছর তিনেক আগে কলকাতা শহরের একটি ফুটপাথ থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে একটি অ্যাপক্যাবের চালক ও তার বন্ধু, তারপরে তাকে ধর্ষণ করে দেহ খালে ফেলে দেয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে পথ-শিশুদের নিয়ে কাজ করে, এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাজকের প্রধান দীপ পুরকায়স্থ বলছিলেন পথ-শিশুদের ওপরে এধরনের ঘটনা খুবই বিরল। \"আমরা ২২ বছর ধরে পথ-শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু এরকম নৃশংস ঘটনা খুবই বিরল। পথ-শিশুদের কিন্তু নিজেদের একটা নেটওয়ার্ক থাকে যা তারা নিজেদের অজান্তেই তৈরি করে নেয়, যার মধ্যে বড়রা যেমন থাকে, তেমনই স্টেশন বা রাস্তার দোকানদার, হকার - এরাও থাকেন। একে অপরের যে কোনও প্রয়োজনে এরাই এগিয়ে আসেন।\" জামশেদপুরে যে শিশুকন্যাটিকে ধর্ষণ করে গলা কেটে মেরে ফেলা হয়েছে, তার একটি ছব��� সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। হাসিখুশি মুখে সোনালী আর সবুজ রঙের চুড়ি হাতে পরে সে যেন কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আনন্দে মশগুল। আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গুর আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সরা তিন লেখকের টার্গেটে গুপ্তচর 'মাসুদ রানা' ওসামা বিন লাদেনের ছেলে 'মারা গেছেন' বস্তি থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে আমেরিকা যাচ্ছেন সিয়াম", "doc2": "Les viols se sont poursuivis sans relâche malgré un changement des lois sur le viol en Inde Son corps a été retrouvé dans un champ de canne à sucre dans le nord de l'État de l'Uttar Pradesh, a annoncé samedi la police. Deux voisins du village ont été arrêtés. La police a nié le récit du père selon lequel sa fille avait eu les yeux arrachés et la langue coupée. Le viol et les violences sexuelles sont sous les projecteurs en Inde depuis le viol collectif et le meurtre d'une jeune femme dans un bus dans la capitale, Delhi en 2012. Cette attaque a conduit à d'énormes protestations et à des changements dans les lois sur le viol dans le pays, mais il n'y a eu aucun signe de réduction des crimes contre les femmes et les filles. Selon des chiffres récents sur la criminalité, une victime de viol sur quatre en Inde est un enfant. Dans un nombre écrasant de cas de viol, les victimes connaissent les auteurs. Lire aussi : Le dernier incident s'est produit vendredi soir dans le village de Pakaria, dans le district de Lakhimpur Kheri, a indiqué la police. La famille est partie à la recherche de leur fille après qu'elle ne soit pas revenue de toilettes dans les champs. Sa famille dit avoir trouvé son corps mutilé. Mais la police a déclaré que l'examen post-mortem avait conclu qu'elle était morte d'étranglement après avoir été violée. Mais ses yeux n'ont pas été arrachés, ni sa langue. \"Il y avait des égratignures près des yeux, probablement en raison des feuilles de canne à sucre pointues où le corps a été retrouvé\", a déclaré le porte-parole de la police Satendra Kumar. Un membre éminent du Parti du Congrès de l'Opposition, Jitin Prasada, a condamné l'attaque comme étant \"attristante\". \"Un tel acte inhumain avec une fille a fait honte à l'humanité\", a-t-il déclaré, selon le journal Times of India. L'incident survient des mois après le cas d'une fillette de six ans qui a été enlevée devant son domicile dans l'État du Madhya Pradesh et violée. L'agresseur avait infligé de graves blessures aux yeux de l'enfant, dans une tentative apparente de l'empêcher de l'identifier. En février, un homme de 25 ans a été arrêté à Delhi accusé de viol sur une fillette de cinq ans. En novembre de l'année dernière, le viol collectif et le meurtre d'un vétérinaire de 27 ans dans la ville méridionale d'Hyderabad ont également fait la Une des journaux mondiaux et déclenché des manifestations."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42262271", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-42263228", "doc1": "জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে এমনটি ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরবের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোও এই স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্তকে 'অযৌক্তিক' আর 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে বর্ণনা করেছে সৌদি আরব। ফ্রান্স, জার্মানি আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস বলেছেন, এটা খুবই গভীর উদ্বেগের সময়। কারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া এর আর কোন বিকল্প নেই। যদিও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এটা একটি ঐতিহাসিক দ��ন। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলের বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে জেরুজালেম শহরটি ফিলিস্তিনে ধর্মঘট আর বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আসন হারিয়েছে। গাজা ভূখণ্ড পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের ক্ষেত্রে 'জাহান্নামের দরজা খুলে দেবে'। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগান বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চলকেই, তার ভাষায় 'আগুনের বৃত্তে' ছুড়ে ফেলবে। ইস্তানবুলে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার এ নিয়ে আলোচনায় বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের আটটি দেশ জরুরী অধিবেশন ডেকেছে, যেসব দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশও। শনিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব লীগ। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াও। জেরুজালেম শহরটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরৈই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফলে কোন পক্ষকেই স্বীকৃতি না দেয়ার মার্কিন নীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে। কিন্তু বুধবার হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিতর্কিত জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরও ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকান দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।", "doc2": "Donald Trump brandit la déclaration de reconnaissance de Jérusalem comme capitale d'Israël Le président palestinien Mahmoud Abbas a vivement condamné la mesure. Fin de Twitter publication, 1 Le secrétaire général des Nations unies a aussi condamné la décision du président américain. \"Dès le premier jour, en tant que secrétaire général des Nations unies, je me suis toujours opposé à toute mesure unilatérale qui compromettrait la perspective d'une paix pour les Israéliens et les Palestiniens. Le statut de Jérusalem doit être résolu par des négociations directes entre les deux parties sur la base des résolutions pertinentes du Conseil de sécurité et de l'Assemblée générale, en tenant compte des préoccupations légitimes des parties palestinienne et israélienne\" a déclaré Antonio Guterres. Le Conseil de sécurité de l'ONU se réunira en urgence vendredi matin sur la reconnaissance unilatérale par Donald Trump de Jérusalem comme capitale d'Israël, a indiqué la présidence japonaise du Conseil. Cette réunion a été demandée par huit pays sur les 15 qui forment le Conseil de sécurité. Il s'agit de quatre européens - Suède, France, Italie et Royaume-Uni -, de deux sud-américains - Bolivie et Uruguay - et de deux africains - Egypte et Sénégal. En visite à Alger, le président Emmanuel Macron a fait part de ses inquiétudes. \"C'est une décision regrettable que la France n'approuve pas, et qui contrevient au droit international et aux résolutions du Conseil de sécurité de l'ONU. Le statut de Jérusalem est une question de sécurité internationale, et je veux l'affirmer clairement devant vous, le statut de Jérusalem devra être déterminé par les Israéliens et par les Palestiniens dans le cadre de négociations sous l'égide des Nations unies\", a indiqué le président français. Il a aussi rappelé l'attachement de la France et de l'Europe \"à la solution de deux Etats, Israël et la Palestine vivant côte à côte en paix et en sécurité dans des frontières internationalement reconnues avec Jérusalem comme capitale des deux Etats\". Le mouvement islamiste palestinien Hamas affirme que la décision du président américain ouvre \"les portes de l'enfer pour les intérêts américains dans la région\". Ismaïl Radouane, un haut responsable du Hamas a appelé les pays arabes et musulmans à « couper les liens économiques et politiques » avec les ambassades américaines, et à expulser les ambassadeurs américains. \"La décision du président américain de reconnaître Jérusalem comme capitale d'Israël, et le transfert de l'ambassade des Etats-Unis vers cette ville, constitue une violation des décisions du droit international et de la charte des Nations unies\", a estimé le porte-parole du gouvernement jordanien, Mohammed Moumeni, dans un communiqué."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48688623", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48691253", "doc1": ". টিকার ব্যাপারে মানুষের মনোভাব জানার জন্য বিশ্বে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় জরিপে দেখা যাচ্ছে অনেক অঞ্চলে টিকা সম্পর্কে মানুষের আস্থা একেবারেই কম। বিশ্বের ১৪০টি দেশের এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষের ওপর জরিপটি চালায় যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে দশটি বিষয়কে বিশ্বের স্বাস্থ্য খাতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে বর্ণনা করছে, তার একটি হচ্ছে টিকা দেয়ার ব্যাপারে মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। আরও পড়ুন: রোগ প্রতিষেধক টিকা নিয়ে কেন এত শঙ্কা টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে ইটালিতে অসন্তোষ কেন? গুটি বসন্তের শেষ মহামারির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এই বিশ্ব জরিপে এমন অনেক লোকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে যারা বলছে টিকার ব্যাপারে তাদের খুব কমই বিশ্বাস বা আস্থা আছে। যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল টিকা নিরাপদ কীনা, এর উত্তরে: •৭৯ শতাংশ বলেছেন তারা 'মোটামুটি' বা 'দৃঢ়ভাবে' এর সঙ্গে একমত •৭ শতাংশ বলেছেন তারা এব্যাপারে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত করেন •১৪ শতাংশ এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি আর যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল টিকা কতটা কাজ করে: •৮৪ শতাংশ বলেছেন তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে টিকা কাজ করে। •৫ শতাংশ বলেছেন তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করেন •আর ১২ শতাংশ পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ হাম বা এরকম অনেক মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে যে টিকা সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা, এটির অ��েক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। হাম খুবই মারাত্মক রোগ বিশ্ব জুড়ে কয়েকশো কোটি মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে টিকা। বিশ্ব থেকে যে গুটি বসন্ত নির্মূল করা গেছে, তার পুরো অবদান এই গুটি বসন্তের টিকা। পোলিওর মতো রোগসহ আরও অনেক রোগ এখন নির্মূলের পথে। কিন্তু অন্যদিকে হাম এবং আরও কিছু রোগ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকজন টিকা দেয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ টিকা সম্পর্কে তাদের ভীতি এবং ভুল ধারণা। ড: অ্যান লিন্ডস্ট্রান্ড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। \"টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, তা কিন্তু ভেস্তে যেতে পারে টিকা দেয়া নিয়ে এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে।\" \"এসব রোগ আবার নতুন করে ছড়িয়ে পড়লে সেটাকে আমরা একটা অগ্রহণযোগ্য পশ্চাৎযাত্রা বলেই গণ্য করবো।\" হাম আবার ফিরে আসছে যেসব দেশে হাম প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছিল, সেখানে আবার হামের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই নতুন করে হাম রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে এর সংক্রমণ ছিল ৩০ শতাংশ বেশি। . কেউ যখন টিকা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, সেটা যে কারণেই হোক, তা কেবল তাকেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছে না, অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছে। যখন একটি এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যাক মানুষ হামের টিকা নেন, সেটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এর ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে। এই বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন 'হার্ড ইমিউনিটি।' অর্থাৎ পুরো জনগোষ্ঠীই তখন সংক্রমণ-প্রতিরোধী হয়ে উঠেন। ওয়েলকাম ট্রাস্টের ইমরান খান বলেন, \"আমরা এখন খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ যদি অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ হামের টিকা না নেয়, তখন এই রোগ আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এখন সেটাই দেখছি।\" টিকার ব্যাপারে আস্থা কোথায় কম? টিকা দেয়া কতটা নিরাপদ তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চিয়তা কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ের কিছু অঞ্চলে। . যেমন ফ্রান্স। ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের মতো ফ্রান্সেও নতুন করে হামের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেখানে জরিপে দেখা যাচ্ছে, সেখানে প্রতি তিন জনে একজন মনে করে টিকা দেয়া নিরাপদ নয়। টিকা সম্পর্কে এরকম নেতিবাচক মনোভাব বিশ্বের আর কোন দেশে এত বেশি নয়। টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কেও ফরাসীদের স��শয় অনেক বেশি। সেখানে ১৯ শতাংশ মানুষই মনে করে টিকা রোগ প্রতিরোধে খুব কার্যকর নয়। আর শিশুদের টিকা দেয়া যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা মানতে নারাজ দশ শতাংশ ফরাসী। ফ্রান্সে এতদিন শিশুদের জন্য তিনটি টিকা বাধ্যতামূলক ছিল। এখন সেখানে আরও ৮টি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিবেশি ইটালিতে ৭৬ শতাংশ মনে করে টিকা দেয়া নিরাপদ। ইটালিতে সম্প্রতি আইন করা হয়েছে টিকা না দেয়া শিশুদের স্কুলে নিষিদ্ধ করে। শিশুদের টিকা না দিলে বাবা-মায়ের জরিমানারও বিধান আছে। ইটালির সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়েছে টিকাদানের হার কমে যাওয়ার পর। যুক্তরাজ্যে এখনো পর্যন্ত এরকম কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, প্রয়োজনে টিকাদান বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি তারা বাদ দিচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রেও হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৬টি অঙ্গরাজ্যে ৯৮০টি হামের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। উত্তর আমেরিকা আর দক্ষিণ এবং পশ্চিম ইউরোপে ৭০ শতাংশের বেশি কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে টিকা দেয়া নিরাপদ। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। টিকা দেয়ার ব্যাপারে আস্থার অভাব আছে কিছু দেশে যেমন পশ্চিম ইউরোপে টিকা দেয়া নিরাপদ মনে করে ৫৯ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপে ৫০ শতাংশ। ইউরোপে গত বছর সবচেয়ে বেশি হামের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ইউক্রেনে (৫৩ হাজার ২১৮টি)। সেখানে মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করে রোগ প্রতিরোধে টিকা কার্যকর ভূমিকা রাখে। বেলারুশে এই হার ৪৬ শতাংশ, মলডোভায় ৪৯ শতাংশ এবং রাশিয়ায় ৬২ শতাংশ। টিকার ব্যাপারে আস্থা কোন দেশে বেশি স্বল্প আয়ের অঞ্চলগুলিতে বেশিরভাগ মানুষই টিকার ওপর আস্থা রাখে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপরে দক্ষিণ এশিয়া।। সেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষই একমত যে টিকা দেয়া নিরাপদ। এরপরই আছে পূর্ব আফ্রিকা। সেখানে টিকায় আস্থার হার ৯২ শতাংশ। টিকার ব্যাপারে আস্থা এবং এর কার্যকারিতায় ভরসা রাখেন বাংলাদেশ এবং রুয়ান্ডার প্রায় সব মানুষ। সেখানে নানা রকমের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও টিকাদানের হারে দারুণ সাফল্য পাওয়া গেছে। রুয়ান্ডা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম নিম্ন আয়ের দেশ যেখানে সব তরুণীকেই এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। এই টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। মিঃ খান বলেন, \"টিকাদানের হার বাড়ানোর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেয��া হলে কী অর্জন করা যায়, এটা তারই উদাহারণ।\" টিকা নিয়ে কেন মানুষ সন্দিহান জরিপে দেখা গেছে, বিজ্ঞানী, ডাক্তার এবং নার্সদের ওপর যাদের আস্থা বেশি, টিকা দেয়াকে তারাই বেশি নিরাপদ বলে মনে করে। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে যারা বিজ্ঞান, চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই টিকার ব্যাপারে অবিশ্বাস বেশি। ওয়েলকাম ট্রাস্টের রিপোর্টে অবশ্য কেন টিকার ব্যাপারে মানুষের আস্থা কম, তা খুব বেশি খতিয়ে দেখা হয়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে অনেক কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হতে পারে আত্মতুষ্টি। কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন রোগ যদি বিরল হয়ে পড়ে, তখন তার বিরুদ্ধে টিকা নেয়া আর অতটা জরুরী বলে মনে নাও হতে পারে। সব ঔষধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। টিকার বেলাতেও তাই। কিন্তু টিকার ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপক পরীক্ষা চালানো হয় যাতে এটিকে নিরাপদ এবং কার্যকর করা যায়। ইন্টারনেটের যুগে টিকার ব্যাপারে মানুষের উদ্বেগ এবং অবিশ্বাস মূহুর্তেই অনেকের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। এর ফলে টিকা সম্পর্কে এমন অনেক কথা ছড়িয়ে পড়ছে, যা মোটেও তথ্যনির্ভর নয়। জাপানে এইচপিভি টিকা সম্পর্কে লোকজনের উদ্বেগ এবং স্নায়বিক সমস্যার সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ব্যাপক প্রচার পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের ব্যাপারে মানুষের আস্থায় ফাটল ধরে। একই ভাবে ফ্রান্সে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার ব্যাপারে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগটা ছিল, সরকার বিপুল পরিমাণে এমন ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা কিনেছে, যেগুলো খুব দ্রুত তৈরি করা হয়েছে এবং এর ফলে এগুলো নিরাপদ নয়। এই দাবির কোন ভিত্তি ছিল না। যুক্তরাজ্যেও এমন কিছু ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছিল যেখানে এমএমআর (মামস, মিজেলস, রুবেলা) টিকার সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক আছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। ডঃ লিন্ডস্ট্রান্ড বলেন, \"এ ধরনের সন্দেহ এবং উদ্বেগ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া। যাতে তারা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে টিকা দেয়ার সুপারিশ করতে পারেন। যাতে তারা টিকা দেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে যেসব প্রশ্ন এবং উদ্বেগ, তার জবাব দিতে পারেন।\" (এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করেছেন বেকি ডেল, ক্রিস্টিন জিভান্স, ডেভি লোইজু, স্কট জার্ভিস এবং কাটিয়া আর্টসেন��োভা। )", "doc2": "La plus grande étude mondiale sur les attitudes des populations à l'égard de la vaccination montre que la confiance est très faible dans certaines régions. L'analyse de Wellcome Trust comprend les réponses de plus de 140.000 personnes recueillis dans plus de 140 pays. Lire aussi : Tout savoir sur les vaccins En Occident, le luxe de ne pas se faire vacciner L'Organisation mondiale de la santé (OMS) classe désormais les réticences à se faire vacciner parmi les dix principales menaces pour la santé mondiale. Wellcome Global Monitor a réalisé des enquêtes représentatives au niveau national dans 142 pays. Les sujets du sondage comprenaient : la confiance dans la science, les scientifiques et l'information sur la santé ; les niveaux de compréhension et d'intérêt pour la science et la santé ; et les attitudes envers les vaccins. Si vous ne pouvez pas voir ce contenu interactif cliquez ici. L'enquête mondiale révèle qu'un grand nombre de personnes déclarent avoir peu confiance en la vaccination. Lorsqu'on leur a demandé si les vaccins sont digne de confiance: ·79 % (huit sur dix) \"plutôt\" ou \"tout à fait d'accord\" ; ·7 % \"assez\" ou \"pas du tout d'accord\" ; ·14 % ni pour, ni contre, ou \"je ne sais pas\". Lire aussi : Flambée de rougeole dans le monde, selon l'OMS Vaccins : des systèmes obsolètes Lorsqu'on leur a demandé s'ils croyaient que les vaccins étaient efficaces : ·84 % sont tout à fait d'accord ou plutôt d'accord ; ·5 % soit fortement en désaccord ou quelque peu en désaccord ; ·12 % ni pour, ni contre, ou \"je ne sais pas\". Pourquoi est-ce important ? Il existe des preuves scientifiques que la vaccination est notre meilleure défense contre les infections mortelles et débilitantes, comme la rougeole. La rougeole peut être mortelle. Les vaccins protègent des milliards de personnes dans le monde. C'est grâce aux vaccins que la variole a été éradiquée et d'autres maladies sont en voie d'éradication comme la polio. Mais d'autres maladies durement combattues, comme la rougeole, font leur réapparition et les experts affirment que le fait d'éviter les vaccins, alimenté par la peur et la désinformation, en est une des principales causes. Le Dr Ann Lindstrand, spécialiste de la vaccination à l'OMS, a déclaré que la situation actuelle était extrêmement grave. Lire aussi : Les vaccins contre le choléra arrivent au Mozambique La RDC déclare une épidémie de rougeole \"L'hésitation à l'égard d'un vaccin peut, du moins à certains endroits, entraver les progrès réels que le monde a accomplis dans la lutte contre les maladies évitables par la vaccination. Toute résurgence de ces maladies est un pas en arrière inacceptable\", selon le médecin. La rougeole est de retour Les pays qui étaient sur le point d'éliminer la rougeole ont connu d'importantes flambées épidémiques. Les données montrent une augmentation du nombre de cas dans presque toutes les régions du monde, avec 30% de cas de plus en 2017 qu'en 2016. La rougeole est de retour dans le monde. La décision de ne pas se faire vacciner, pour quelque raison que ce soit, pose un risque pour les autres ainsi que pour la personne elle-même. Si le nombre de personnes vaccinées est suffisant, la maladie cesse de se propager au sein d'une population : ce que les experts appellent \"l'immunité collective\". Lire aussi : Des vaccinateurs antipolio tués au Pakistan Vaccination contre la rage au Togo \"Nous sommes vraiment inquiets en ce moment parce que pour la rougeole, une couverture inférieure à 95 % peut entraîner des épidémies et c'est ce que nous voyons\", a déclaré Imran Khan du Wellcome Trust. Où la confiance est-elle faible ? La plupart des populations du monde ont confiance dans les vaccins. Certaines personnes vivant dans plusieurs régions à revenu élevé sont parmi les moins sûres de l'innocuité des vaccins. En France - un pays parmi plusieurs pays européens qui connaissent actuellement des flambées de rougeole - un habitant sur trois n'est pas d'accord pour dire que les vaccins sont sûrs. C'est le pourcentage le plus élevé de tous les pays du monde. Les Français sont également parmi les plus susceptibles de ne pas être d'accord avec l'efficacité des vaccins (19 %) et de ne pas être d'accord avec l'importance des vaccins pour les enfants (10 %).Le gouvernement français a maintenant ajouté huit autres vaccinations obligatoires aux trois que les enfants du pays reçoivent déjà. L'Italie voisine - où 76 % des personnes interrogées estiment que les vaccins sont sûrs - a récemment adopté une loi qui permet aux écoles d'interdire la scolarisation aux enfants non vaccinés ou d'infliger une amende à leurs parents après que les taux de vaccination ont diminué. Lire aussi : Un premier cas d'Ebola en Ouganda Un nouveau vaccin contre le paludisme testé à grande échelle au Malawi Le Royaume-Uni n'est pas encore allé aussi loin, mais le ministre de la Santé Matt Hancock a déclaré qu'il \"n'exclut pas\" l'idée d'introduire des vaccinations obligatoires si nécessaire. Les États-Unis ont également connu leur propre épidémie de rougeole - la plus importante depuis des décennies, avec plus de 980 cas confirmés dans 26 États en 2019 à ce jour. En Amérique du Nord, ainsi qu'en Europe du Sud et du Nord, un peu plus de 70 % des gens \"sont d'accord\" pour dire que les vaccins sont sûrs. Ce chiffre n'est que de 59 % en Europe de l'Ouest et de 50 % en Europe de l'Est. En Ukraine, qui a enregistré le plus grand nombre de cas de rougeole en Europe l'an dernier (53.218 au total) - seulement 50 % des gens sont d'accord que les vaccins sont efficaces. Ce chiffre est de 46 % en Biélorussie, 49 % en Moldavie et 62 % en Russie. Exemples de réussite La plupart des gens dans les régions à faible revenu s'entendent pour dire que les vaccins sont sûrs. Le nombre le plus élevé se trouve en Asie du Sud, où 95 % des gens sont d'accord, suivi par l'Afrique de l'Est, où ce chiffre est de 92 %. Le Bangladesh et le Rwanda sont presque tous d'accord sur l'innocuité et l'efficacité des vaccins et ont atteint des taux de vaccination très élevés malgré les nombreux défis que pose l'acheminement physique des vaccins aux populations. Lire aussi : Des drones pour livrer du sang et des médicaments au Ghana Alerte au faux vaccin au Niger Le Rwanda est devenu le premier pays à faible revenu au monde à fournir aux jeunes femmes un accès universel au vaccin contre le VPH qui protège contre le cancer du col utérin. Pour M. Khan : \"cela montre ce qui peut être réalisé grâce à un effort concerté pour améliorer l'utilisation des vaccins.\" Qu'est-ce qui rend les gens sceptiques ? Dans l'enquête, les personnes qui font davantage confiance aux scientifiques, aux médecins et aux infirmières sont plus susceptibles d'être d'accord pour dire que les vaccins sont sûrs. Inversement, ceux qui avaient récemment cherché de l'information sur Internet sur la science, la médecine ou la santé semblent moins enclins à être d'accord. Le rapport Wellcome n'explore pas toutes les raisons du manque de confiance, mais les chercheurs affirment qu'il y a probablement de nombreux facteurs en jeu. Si une maladie est devenue moins fréquente, la nécessité de se faire vacciner peut sembler moins pressante lorsqu'il s'agit d'évaluer les avantages et les risques éventuels. Tous les médicaments, y compris les vaccins, peuvent avoir des effets secondaires. Mais les vaccins sont minutieusement testés pour vérifier qu'ils sont sûrs et efficaces pour la population. Lire aussi : Un vaccin contre Ebola en RDC Ebola n’existe pas selon 25% des congolais A cause d'Internet, les croyances et les préoccupations au sujet des vaccins peuvent être partagées en un instant, diffusant des informations qui ne sont pas nécessairement fondées sur des faits. Au Japon, les inquiétudes concernant le vaccin anti-papillomavirus et un lien avec des problèmes neurologiques ont été largement diffusés, ce qui, selon les experts, a ébranlé la confiance dans la vaccination en général. De même, en France, il y a eu une controverse au sujet d'un vaccin contre la grippe pandémique - des accusations selon lesquelles le gouvernement aurait acheté de grandes quantités du vaccin et l'inquiétude qu'il ait été fabriqué trop rapidement et ne puisse être sûr. Au Royaume-Uni, il y a eu de la désinformation au sujet du vaccin ROR et de l'autisme. Le Dr Lindstrand explique que : \"l'un des moyens les plus efficaces pour contrer les doutes et les inquiétudes au sujet des vaccins est d'avoir des agents de santé vraiment bien formés, capables et prêts à recommander des vaccins basés sur la vérité scientifique, et capables de répondre correctement aux questions et préoccupations des parents et des communautés\". A regarder : Paludisme: test expérimental d'un vaccin qui suscite l'espoir Contenu interactif produit par Becky Dale et Christine Jeavans ; design par Debie Loizou ; développement par Scott Jarvis et Katia Artsenkova"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56797313", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54282430", "doc1": "নতুন এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে তো বটেই বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থান ইউয়েফা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা পর্যন্ত চরম নিন্দা জানাচ্ছেন। বাকী ছয়টি ক্লাব হচ্ছে: রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, এসি মিলান ও আতলেটিকো মাদ্রিদ। এই ক্লাবগুলো যে নতুন প্রতিযোগিতার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে সেটি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আয়োজিত হবে। ইএসএল- ইউরোপিয়ান সুপার লিগ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা চালু করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে এবং আরো তিনটি ক্লাব যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরুষ ও নারী দুই বিভাগেই ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরাসরি এই নতুন পরিকল্পনার সমালোচনা করে নিজের টুইটার পাতায় লিখেছেন, এটা ফুটবলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মি. জনসন লেখেন, \"ঘরোয়া লিগের মূলে আঘাত করবে এটা। ভক্তদের শঙ্কায় ফেলবে। এই ক্লাবগুলোর উচিৎ ভক্তদের ও ফুটবল কমিউনিটির কাছে জবাবদিহি করা।\" ফুটবল নিয়ে আরো পড়ুন: লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের সবচাইতে সফল দুটি দল। কী আছে এই সুপার লিগে? এই লিগে থাকবে ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব নাম দিতে যাচ্ছে এখানে। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলবে ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে। প্রতি বছরই অগাস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হবে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হবে। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ক্লাবগুলো। সুপার লিগের ক্লাবগুলো কী বলছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সফলতম দল রেয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ দাবি করছেন, ইএসএল সব স্তরের ফুটবলের জন্যই ভালো। তিনি বলেন, \"চার বিলিয়ন ভক্ত ফুটবলের, এটাই একমাত্র বৈশ্বিক খেলা। আমাদের দায়িত্ব ভক্তদের মনের আশা পূরণ করা।\" নতুন এই লিগের পরিকল্পনায় যুক্ত আছে জুভেন্টাস এবং এসি মিলান জুভেন্টাসের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আনেলি ইউয়েফার নির্বাহী কমিটি এবং ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, \"একটা সংকটের সময় ১২টি ক্লাব একসাথে হয়েছে। ইউরোপের ফুটবল বদলে দিতে দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে আমাদের।\" ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কো-চেয়ারম্যান জোয়েল গ্ল্যাজার বলেন, \"বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এবং খেলেয়াড়রা একসাথে হয়ে মৌসুমজুড়ে খেলবে। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এটি একটি নতুন অধ্যায়। যেখানে বিশ্বমানের খেলা, সুযোগ সুবিধা ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে, যার সুফল ফুটবল পিরামিডের সবাই ভোগ করবে।\" নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবগুলো ইউয়েফা কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পকে 'জঘন্য' আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে যাতে এটি বাস্তবায়ন না হয়। ইউয়েফার সাথে এক বিবৃতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ, রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন, লা লিগা, ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং লেগা সিরি আ। যেখানে বলা হয়েছে, যখন বিশ্বে সবার ফুটবলের স্বার্থে এক হওয়াটা প্রয়োজন তখন কিছু ক্লাব নিজেদের স্বার্থে এমন একটি প্রজেক্ট ভাবলো যা জঘন্য। ফিফা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছয়টি মহাদেশের ফুটবল সংস্থা, অর্থাৎ কনফেডারেশনগুলো এই সুপার লিগের সাথে জড়িত সবগুলো ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া ফুটবল, ইউরোপিয়ান ফুটবল ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বলব থাকবে। এমনকি কোনো ফুটবলার যদি এই সুপার লিগে খেলে তাকে জাতীয় দল থেকেও বাদ দেয়া হতে পারে। \"বিশ্বকাপ খেলতে নাও দেয়া হতে পারে সুপার লিগে খেলা ফুটবলারকে,\"- ফিফা, ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেসব ক্লাব এই প্রস্তাবে একমত হয়নি ইউয়েফা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশেষত ফরাসী ও জার্মান ক্লাবগুলোকে। ইউয়েফার স্টেটমেন্টের শেষ লাইন ছিল, \"যথেষ্ট হয়েছে।\" বরিস জনসন বলেছেন ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর হবে সুপার লিগ ঠেকাতে যা যা হচ্ছে সুপার লিগের আয়োজনের খবরের সাথে সাথে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। বিবিসি স্পোর্টের ধারণা পাচ্ছে যে, এই বৈঠকে সুপার লিগের সাথে যেসব ক্লাবের নাম এসেছে তারা কেউই কোনো সাড়া দেয়নি। ডাচ ক্লাব আয়াক্সের প্রধান নির্বাহী এডউইন ফন ডার সার এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন, বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর মতো ক্লাবগুলোও উপস্থিত ছিল। ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এই সুপার লিগ মডেলের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। বরং এটা ঠেকাতে ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের কথা আছে। সোমবার পরের দিকে এ বিষয়ে আরো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হওয়ার কথ��� ২০২৪ সাল থেকেই। ইউয়েফা এই সুপার লিগ ঠেকাতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছে। কেন সুপার লিগ নিয়ে এত আপত্তি? প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি বড় ক্লাব এই সুপার লিগের অংশ, সেই প্রিমিয়ার লিগ বলছে এই সুপার লিগ যে কোনো ভক্তের কাছে স্বপ্নভঙ্গের মতো। যে প্রক্রিয়ায় একটি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে এবং সেরা ক্লাবগুলোর সাথে খেলে সেই প্রক্রিয়া এবং কাঠামোই ভেঙ্গে দেবে এই সুপার লিগ। বুন্দেসলিগা অর্থাৎ জার্মান লিগে কোনো ক্লাব চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কারণ জার্মান ফুটবল মডেল অনুযায়ী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ক্লাবের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভক্তদের ভোটের প্রয়োজন হয় জার্মানিতে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল এই পরিকল্পনার ওপর 'পুরোপুরি বীতশ্রদ্ধ'। আমি চল্লিশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্ত এবং আমি এটা নিয়ে প্রচন্ড নাখোশ। নেভিল এই ক্লাবগুলোর মালিকদের 'বেইমান' বলে অভিহিত করে বলেন, \"এটা কেবলই লোভ।\" এই সুপার লিগ ক্লাবগুলোর যে সমর্থকগোষ্ঠী তারাও সুপার লিগের বিপক্ষেই মত দিয়েছেন। লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেন্যাম- সবগুলো ক্লাবের ভক্তরাই অসমর্থন জানিয়েছে এই পরিকল্পনার। 'ঘোরতর বেইমানি' বলছেন তারা।", "doc2": "Liverpool et Manchester United sont les deux équipes les plus titrées de l'histoire du football anglais. Dans un mouvement sismique pour le football européen, les clubs de la Premier League rejoindront l'AC Milan, l'Atletico Madrid, Barcelone, l'Inter Milan, la Juventus et le Real Madrid. L'ESL annonce que les clubs fondateurs ont convenu de créer une \"nouvelle compétition en milieu de semaine\", les équipes continuant à \"s'affronter dans leurs championnats nationaux respectifs\". Lire aussi: José Mourinho, limogé par Tottenham après seulement 17 mois La nouvelle ligue informe que la saison inaugurale doit \"commencer dès que possible\" et qu'elle \"prévoit que trois autres clubs\" rejoindront le groupe. L'ESL souligne qu'elle prévoit également de lancer une compétition féminine dès que possible après le début du tournoi masculin. Le Premier ministre britannique Boris Johnson, l'Uefa et la Premier League ont condamné cette décision dès que la nouvelle est tombée dimanche. Les critiques affirment que cette décision est motivée uniquement par l'argent, qu'elle détruirait les ligues nationales et qu'elle est contraire à l'éthique du sport. La Fifa, l'instance dirigeante du football mondial, ajoute aussi qu'elle ne reconnaîtra pas une telle compétition et que les joueurs concernés pourront se voir refuser la possibilité de participer à une Coupe du monde. L'Uefa, l'organe directeur de l'Europe, réitère aussi cet avertissement dimanche en déclarant que les joueurs impliqués seront interdits de toute autre compétition au niveau national, européen ou mondial et pourront être empêchés de représenter leur équipe nationale. Après l'annonce de l'ESL, la Fifa exprime sa \"désapprobation\" de la compétition proposée et a appelle \"toutes les parties impliquées dans des discussions passionnées à s'engager dans un dialogue calme, constructif et équilibré pour le bien du jeu\". L'ESL a envoyé une lettre au président de la Fifa, Gianni Infantino, et au patron de l'Uefa, Aleksander Ceferin, pour les aviser d'une procédure judiciaire devant les tribunaux européens visant à bloquer toute sanction que les deux instances dirigeantes pourront tenter d'appliquer à la formation de l'ESL. Dans un communiqué, l'ESL écrit : \"Pour l'avenir, les clubs fondateurs sont impatients de mener des discussions avec l'Uefa et la Fifa afin de travailler en partenariat pour obtenir les meilleurs résultats pour la nouvelle ligue et pour le football dans son ensemble.\" Pourquoi maintenant ? Des pourparlers ont eu lieu en octobre, impliquant la banque JP Morgan de Wall Street, au sujet d'une nouvelle compétition de 4,6 milliards de livres sterling qui remplacerait la Ligue des champions. L'Uefa espérait que le projet d'une nouvelle Ligue des champions à 36 équipes - dont les réformes devraient être confirmées lundi - empêcherait la formation d'une Super League. Cependant, les 12 équipes impliquées dans la Super League ne pensent pas que les réformes aillent assez loin. Ils estiment que la pandémie a \"accéléré l'instabilité du modèle économique actuel du football européen\". \"Ces derniers mois, un dialogue approfondi a eu lieu avec les parties prenantes du football concernant le futur format des compétitions européennes\", ajoutent-ils. \"Les clubs fondateurs estiment que les solutions proposées à l'issue de ces discussions ne résolvent pas les problèmes fondamentaux, notamment la nécessité d'offrir des matches de meilleure qualité et des ressources financières supplémentaires pour l'ensemble de la pyramide du football.\" Quel est le format proposé ? La ligue comptera 20 équipes - les 12 membres fondateurs plus les trois clubs anonymes qui devraient bientôt les rejoindre, et cinq équipes qui se qualifieront chaque année en fonction de leurs résultats nationaux. Selon les propositions, le tournoi de l'ESL débutera en août chaque année, avec des rencontres en milieu de semaine, et les clubs seront répartis en deux groupes de 10, s'affrontant à domicile et à l'extérieur. Les trois premiers de chaque groupe se qualifieront pour les quarts de finale, tandis que les équipes classées quatrième et cinquième disputeront un barrage en deux manches pour les deux places restantes. À partir de ce moment-là, la compétition se déroulera sous la forme d'un match à élimination directe en deux manches, comme c'est le cas en Ligue des champions, avant une finale en un seul match en mai, dans un lieu neutre. L'ESL souligne que ce système générera plus d'argent que la Ligue des champions et entraînera une meilleure répartition des revenus dans le jeu. Que disent les dirigeants de la Super League ? Le président du Real Madrid, Florentino Perez, premier président de l'ESL, affirme que la nouvelle compétition va \"aider le football à tous les niveaux\". La Juventus et l'AC Milan ont signé le projet de ligue séparée. \"Le football est le seul sport global au monde avec plus de quatre milliards de fans et notre responsabilité en tant que grands clubs est de répondre à leurs désirs\", a-t-il ajouté. Le président de la Juventus, Andrea Agnelli, a démissionné du comité exécutif de l'Uefa et de la présidence de l'Association européenne des clubs (ECA), qui avait poussé les réformes prévues de la Ligue des champions. Il estime que les 12 clubs se sont \"réunis en ce moment critique, permettant à la compétition européenne d'être transformée, mettant le jeu que nous aimons sur une base durable pour l'avenir à long terme\". Le coprésident de Manchester United, Joel Glazer, sera le vice-président de la Super League. Il indique qu'en réunissant « les plus grands clubs et joueurs du monde pour qu'ils s'affrontent tout au long de la saison, la Super League ouvrira un nouveau chapitre pour le football européen, garantissant une compétition et des installations de classe mondiale, ainsi qu'un soutien financier accru pour la pyramide du football au sens large.\" Qui est Sadio Mané ? Quelle a été la réaction ? Essentiellement, une condamnation générale de la part de tous ceux qui ne sont pas impliqués dans la ligue proposée. Boris Johnson juge que le projet sera \"très préjudiciable au football\" et le président français Emmanuel Macron salue le refus des clubs français de s'y joindre. L'Uefa a publié une déclaration commune avec la Fédération anglaise de football, la Premier League, la Fédération espagnole de football, La Liga et la Fédération italienne de football, ainsi que la Serie A, affirmant qu'ils \"resteront unis\" pour tenter d'arrêter la scission, en utilisant \"toutes les mesures disponibles\". L'ECA indique qu'elle est \"fermement opposée\" à la ligue, tandis que l'Association des supporters de football dit que les plans ne sont \"motivés par rien d'autre qu'une cupidité cynique\". Parmi les ex-professionnels de football, l'ancien milieu de terrain de Liverpool et Tottenham Danny Murphy dit à BBC Sport que le projet \"semble sans âme\", l'ancien capitaine de Manchester United Gary Neville indique à Sky Sports qu'il est \"absolument dégoûté\", tandis que son ancien coéquipier Rio Ferdinand déclare sur BT Sport que les propositions feront le plus de mal aux supporters. L'ultime trahison Les groupes de supporters associés aux six clubs anglais concernés sont fermement opposés à la Super League. Le groupe de supporters de Liverpool Spirit of Shankly (SOS) s'est dit \"consterné\" par la décision de Fenway Sports Group, le propriétaire du club basé aux États-Unis. Dans un message sur les médias sociaux, SOS écrit : \"FSG ignore les fans dans sa quête incessante et avide d'argent. Le football est à nous, pas à eux. Notre club de football est le nôtre, pas le leur\". Chelsea Supporters' Trust qualifie la décision d'\"impardonnable\" et déclare que ses membres et \"les supporters de football du monde entier vivent une trahison ultime\". L'Arsenal Supporters' Trust qualifie l'accord d'adhésion du club à la \"mort d'Arsenal en tant qu'institution sportive\". Le club officiel des supporters de Manchester City juge que cette décision montre que \"les personnes impliquées n'ont aucune considération pour les traditions du football\", ajoutant qu'il est \"déterminé à lutter contre ce projet de Super League\". Le Manchester United Supporters' Trust a auparavant soutenu que les propositions sont \"totalement inacceptables\" et que l'ESL \"va à l'encontre de tout ce que le football, et Manchester United, doivent représenter\". Tottenham Hotspur Supporters' Trust indique que l'ESL est un \"concept motivé par l'avarice et l'intérêt personnel aux dépens des valeurs intrinsèques du jeu qui nous est si cher\". Analyse Simon Stone, de BBC Sport S'il subsistait un doute sur la volonté de ces 12 clubs de lancer leur propre compétition, il a été levé par leur déclaration - renforcée par chacun d'eux à travers leurs propres plateformes médiatiques. Tant de questions restent sans réponse. La principale est de savoir s'ils parviendront à concrétiser leur projet, compte tenu de la forte résistance de l'Uefa et des ligues et associations des pays concernés. Mais au-delà, qui seront les trois autres clubs qui composeront les 15 membres fondateurs ? Le Bayern Munich et le Paris St-Germain finiront-ils par se joindre à eux ? Et comment les cinq autres clubs seront-ils désignés ? Ces discussions seront fascinantes. Mais pour l'instant, les clubs qui ont signé pour la Super League européenne doivent se battre sur le plan des relations publiques pour changer comment cette décision est perçue, car la réaction initiale est très largement négative."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43340352", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43343458", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে অবস্থানরত দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের একটি আমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর করেন। আরো পড়ুন: আশির দশকে ইডেন গার্ডেনসে খেলেছিলেন যে নারী মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া তাদের সব পারমানবিক এবং মিসাইল কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে হুমকি ও পাল্টা হুমকির মাঝে এ ধরণের বৈঠকের বিষয়টি বড় ধরনের অগ্রগতি। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা পিয়ংইয়ং-এ উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে একটি নজিরবিহীন বৈঠক করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ এবং স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে ফেসবুকে আশ্রয় চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা?", "doc2": "Une rebondissement de taille dans les relations tendues entre Washington et Pyong Yang. Une rebondissement de taille dans les relations tendues entre Washington et Pyong Yang. Donald Trump, a salué sur Twitter de \"grands progrès\" sur le dossier nord-coréen, insistant sur le fait que l'homme fort de Pyongyang avait parlé de \"dénucléarisation\", pas seulement d'un \"gel\" des activités nucléaires. Cet accord intervient après deux années de très vives tensions entre Washington et Pyongyang liées au programmes nucléaire et balistique nord-coréens. Dans une brève allocution devant la West Wing de la Maison Blanche, Chung Eui-yong, conseiller national sud-coréen à la Sécurité, a annoncé jeudi soir que le 45e président des Etats-Unis avait accepté l'invitation de la Corée du Nord. Le leader nord-coréen \"a fait part de son désir de rencontrer le président Trump le plus vite possible\", a-t-il dit. \"Le président Trump a apprécié le compte-rendu et a dit qu'il rencontrerait Kim Jong Un d'ici fin mai pour parvenir à la dénucléarisation permanente\", a-t-il ajouté. La Maison Blanche a confirmé que le président américain, 71 ans, avait accepté la proposition du dirigeant trentenaire. Une évolution de taille quand ont sait que le milliardaire américain qualifiait il y a peu M. Kim de \"petit homme fusée\" et de \"petit gros\", tandis que ce dernier traitait l'occupant de la Maison Blanche de \"malade mental gâteux\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40377323", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-40724742", "doc1": "ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সাথে টেরিজা মে যাতে করে তারা ব্রেক্সিট এর পরেও শিক্ষা ,চিকিৎসা সেবা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। তিনি আরও বলেন ইউকে কখনও চায় না যে বর্তমান ব্রিটেনের অভিবাসী কোন ইউরোপীয় নাগরিক দেশ ত্যাগ করুক । আর তিনি আশা করেন এই ব্যবস্থা পারস্পরিক হবে । ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সম্মেলনে মিসেস মে বলেন \"কেউ কোন ধরনের কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে না।\" বর্তমানে ইউকে তে ৩০ লক্ষ ২০ হাজার ইইউ নাগরিক রয়েছেন। যাদের অনেকের মনে ভয় রয়েছে যে তাদেরকে হয়তবা ফেরত পাঠানো হবে। মিসেস মে জোর দিয়ে ইউকে'র ২৭ টি ইইউ পার্টনারদের বলেন দেশটি চায় না কেউ সেখান থেকে চলে যাক বা কারো পরিবার দুভাগ হয়ে যাক। এদিকে তার এই প্রস্তাবে সতর্ক মন্তব্য করতে দেখা গেছে কয়েকজন বিশ্ব নেতাকে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মেরকেল এটাকে 'একটা ভাল শুরু' এই বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ব্রেক্সিটকে ঘিরে অনেক ইস্যু রয়েছে যেগুলো সমাধান করতে হবে। ইইউ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন যখন ইউকের পুরো প্রস্তাব সোমবার প্রকাশিত হয় তখন তারা এর 'লাইন বাই লাইন' পড়ে দেখেছে। ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ইউকের হাতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় রয়েছে।", "doc2": "David Davis a exclu le rôle de la Cour de justice européenne dans les démarches pour garantir les droits des citoyens de l'UE après le Brexit. Mais ils ne seront pas autorisés à voter. Le secrétaire britannique chargé du Brexit, s'est exprimé ainsi suite à une rencontre avec le ministre tchèque des Affaires étrangères , Lubomir Zaoralek. Selon lui, ces droits seraient toutefois protégés par des tribunaux britanniques et non étrangers. David Davis a exclu ainsi le rôle de la Cour de justice européenne dans les démarches pour garantir les droits des citoyens de l'UE après le Brexit. Parmi les millions de citoyens de l'Union européenne qui vivent au Royaume-Uni, il y a au moins 45 000 Tchèques. Les privilèges qui leur seront accordés, ajoute-t-il, seront garantis par une loi du Parlement et soutenus par un traité. Pour les observateurs, cette question cruciale de droits des citoyens et leur application au Royaume Uni pèsera lourdement dans les futures négociations avec la Commission européenne."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49546897", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49504674", "doc1": "আবিষ্কার হওয়া মাথার খুলি তৈরি করেছেন এক শিল্পী। আনামেনসিস দেখতে কেমন ছিলো তিনি সেটি তৈরির চেষ্টা করেছেন। নতুন এই নমুনাটির বিশ্লেষণ, এপ প্রজাতির বানর থেকে মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিবর্তন প্রক্রিয়ার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। নতুন মতবাদ বলছে, লুসি নামে এপ প্রজাতির বানর থেকে প্রথম মানুষের উৎপত্তি হওয়ার যে মতবাদ প্রচলিত আছে তা আবার বিবেচনা করার অবকাশ আছে। ন্যাচার জার্নালে এই আবিষ্কারটি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ইথিওপিয়ার আফার রাজ্যের মিল্লা জেলার মিরো দোরা এলাকায় মাথার খুলিটি খুঁজে পান অধ্যাপক ইয়োহানেস হাইলি সেলাইসি। আরো পড়তে পারেন: মানুষ কখন ও কেন কথা বলতে শিখলো? মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশু বেশি জন্মায় কেন? মানুষ কী করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর ক্লিভল্যান্ড মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি-এর সাথে যুক্ত এই বিজ্ঞানী বলেছেন, তিনি সাথে সাথেই জীবাশ্মটির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। \"আমি নিজেই নিজেকে বলি, আমি যা দেখছি সেটি কি আসলেই সত্যি? তারপর হঠাৎই আমি লাফিয়ে উঠি এবং বুঝতে পারি যে, এটিই আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল,\" তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন। অধ্যাপক হাইলি সেলাইসি বলেন, মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে পরিচিত এপ প্রজাতির এ পর্যন্ত পাওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে এটি। ওই প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম অস্ট্রালোপিথিকুস আনামেনসিস- সবচেয়ে পুরনো অস্ট্রালোপিথিসিন যা প্রায় ৪২ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে বাস করতো। ধারণা করা হয় যে, এ. আনামেনসিস ছিল আরো উন্নত প্রজাতি যা অস্ট্রালোপিথিকুস আফারেনসিস নামে পরিচিত তার সরাসরি বংশধর। এই উন্নত প্রজাতিটি প্রাথমিক মানুষের প্রথম জেনাস বা বর্গ বা দল যা হোমো নামে পরিচিত ছিল, তাদের পূর্বজ। বর্তমানে বেঁচে থাকা মানুষের বর্গকেও হোমো বলা হয়। নতুন পাওয়�� মাথার খুলির বিভিন্ন দিক থেকে তোলা ছবি। ১৯৭৪ সালে আবিষ্কার হওয়া প্রথম আফারেনসিস কংকাল নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছিলো। তার নাম দেয়া হয়েছিলো লুসি। বিটলসের বিখ্যাত গান 'লুসি ইন দ্য স্কাই উইথ ডায়মন্ডস' খননের সাইটে বাজার সময় কংকালটি আবিষ্কার করা হয়েছিলো বলে সেটির এমন নাম দিয়েছিলেন গবেষকরা। 'প্রথম এপটি হেটেছিলো,' লুসিকে এভাবে বর্ণনা করার পর তা পুরো পৃথিবীর মনোযোগ কেড়েছিল। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সাথে জড়িত অধ্যাপক ফ্রেড স্পুর ন্যাচার জার্নালে একটি মন্তব্যে লিখেছেন, \"দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের বির্বতনের আরেক আইকন হতে যাচ্ছে এই আনামেনসিস।\" এটি এতো গুরুত্ব পাওয়ার কারণ হচ্ছে, আমরা বলতে পারি যে, আনামেনসিস এবং আফারেনসিস প্রায় সমসাময়িক ছিল। আগের ধারণা অনুযায়ী, পূর্বেরটি সরাসরি একটি সরল প্রক্রিয়ায় বিবর্তিত হয়ে পরেরটিতে পরিণত হয়নি। নতুন এই ধারণাটি সামনে আসে আগের বিবর্তনের ধারণাটির পুনর্ব্যাখ্যা থেকে। নতুন জীবাশ্মটিতে আগে আবিষ্কার হওয়া ৩৯ লাখ বছর পুরনো মাথার খুলির অবশিষ্টাংশের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই অবশিষ্টাংশকে আনামেনসিস নামে ধরা হয়েছিলো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আসলে আফারেনসিসের দেহাবশেষের অংশ। তার মানে হচ্ছে, এই প্রজাতির ইতিহাস আরো গভীর। বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে যে, দুটি প্রজাতিই একসাথে বেঁচেছিলো প্রায় এক লক্ষ বছর ধরে। যা ধারণা করা হচ্ছে তা হল-আনামেনসিসের ছোট একটি দল অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে পড়ে এবং সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে এগুলো বিবর্তিত হয়ে আফারেনসিসে পরিণত হয়। আনামেনসিস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই দুই প্রজাতি কিছু সময়ের জন্য হলে একই সময়ে বেঁচেছিলো। নতুন এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাহলে এটি ধারণা দেয় যে, এপ প্রজাতির সাথে অন্য আরো উন্নত প্রজাতিরও আসলে সমসাময়িক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর ফলে প্রথম মানুষ হওয়ার বিবর্তনের অনেক গুলো উপায় আমাদের সামনে চলে আসে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, যদিও এই ধারণা লুসি থেকে মানুষের হোমো বর্গের সৃষ্টি হওয়ার মতবাদকে বাতিল করে দেয় না, কিন্তু এটি এই ধারণার সাথে আরো কয়েকটি প্রজাতির নাম সংশ্লিষ্ট করেছে। অধ্যাপক হাইলি সেলিইসি একমত প্রকাশ করেন যে, কোন প্রজাতি মানুষের পূর্ব-পুরুষ তা নিয়ে 'সব ধরণের পণ এখন বন্ধ' হয়ে গেলো। তিনি বর্ণনা করেন: \"দীর্ঘ সময় ধরে, মানুষের পূর্ব পুরুষ হিসেবে আফারেনসিসের নাম আসতো সবার আগে, কিন্তু আসলে আগের সেই অবস্থানে নেই আমরা। এখন আমাদেরকে ওই সময়ে বেঁচে থাকা সব প্রজাতিকেই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে যে আসলে প্রথম মানুষের সাথে কোনটির সবচেয়ে বেশি মিল ছিল।\" প্রথম মানুষের পূর্বজ লুসি নামে পরিচিত এপের দেহাবশেষ 'মিসিং লিংক' এই শব্দ দুটিকে যখন নৃবিজ্ঞানীরা কারো কাছ থেকে বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে থেকে শোনেন, তখন তারা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ, তারা এটি এমন একটি জীবাশ্মকে ব্যাখ্যা করতে এই শব্দ ব্যবহার করছে যা অর্ধেক এপ এবং অর্ধেক মানুষ। ন্যাচার জার্নালের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ড. হেনরি গি- আমার \"কলিজা বের করে পেঁয়াজ, বরলটি বিন আর এক গ্লাস ক্লারেটের সাথে খেয়ে ফেলার\" হুমকি দিয়েছিল। সেসময় পুরনো একটি আবিষ্কার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছিলাম আমি। অবশ্য হেনরির খেপে যাওয়ার অনেক কারণও ছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, মানব বিবর্তন চক্রের অনেক সূত্র রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই এখনো কোন সন্ধান মেলেনি। আনামেনসিস হচ্ছে সম্প্রতি আবিষ্কার হওয়া সূত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নতুন যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আধুনিক মানুষের বিবর্তন ব্যাখ্যা করার আসলে সরল কোন রেখা নেই। সত্য এর চেয়েও আরো অনেক জটিল এবং মজার। এটি বিবর্তনের এমন গল্প বলে, যা বিভিন্ন পরিবেশে মানুষের পূর্বপুরুষের বিভিন্ন \"প্রোটোটাইপ\" নিয়ে \"পরীক্ষা করে\"। আর এটা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন প্রজাতি যা জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান এবং খাদ্য সংকটের চাপ উপেক্ষা করে টিকে থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে শক্ত কোন বৈশিষ্ট্য সামনে তুলে ধরতে না পারে। অধ্যাপক হাইলি সেলাইসি মানব বিবর্তন নিয়ে কাজ করা গুটি কয়েক আফ্রিকান বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন। এখন তিনি বেশ পরিচিতি পেলেও এই অধ্যাপক স্বীকার করেছেন যে, যোগ্য আফ্রিকান গবেষকদের জন্য পশ্চিমা ভিত্তিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে গবেষণার তহবিল পাওয়া বেশ দুঃসাধ্য। \"আমাদের উদ্ভবের সাথে জড়িত বেশিরভাগ জীবাশ্মই আফ্রিকায় পাওয়া যায়। আর আমার মনে হয়, আফ্রিকানরা তাদের নিজেদের মহাদেশে থাকা এসব সম্পদ ব্যবহারে সক্ষমতা পাওয়া উচিত যাতে নৃ-বিজ্ঞানের মৌল ও জীবাশ্ম বিষয়ক শাখা পালায���েও-অ্যানথ্রপলজিতে তারা তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারে। এ খাতে তাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হল অর্থায়ন,\" তিনি বলেন।", "doc2": "Anamensis avait une petite boîte crânienne et un visage étroit comparé au notre. Une analyse du nouveau spécimen remet en question les idées sur la façon dont les premiers humains ont évolué à partir d'ancêtres ressemblant à des singes. Le point de vue actuel selon lequel un singe nommé Lucy faisait partie d'une espèce qui a donné naissance aux premiers humains doit être reconsidéré. La découverte est rapportée dans la revue Nature. Le crâne a été trouvé par le professeur Yohannes Haile-Selassie à un endroit appelé Miro Dora, qui se trouve dans le district de Mille, dans l'État régional Afar en Ethiopie. Lire aussi : \"On vient tous d'Afrique et on était tous noirs\" AfSud: un ancêtre de l'homme dévoilé Le scientifique, qui est affilié au Musée d'histoire naturelle de Cleveland dans l'Ohio, aux États-Unis, a déclaré qu'il a immédiatement reconnu l'importance du fossile. Je me suis dit : \"Oh mon Dieu, est-ce que je vois ce que je crois voir ?\". Et tout d'un coup, je sautais de joie et c'est là que j'ai réalisé que c'était ce dont j'avais rêvé\", a-t-il déclaré à BBC News. Le professeur Haile-Selassie dit que le spécimen est le meilleur exemple à ce jour de l'ancêtre humain semblable à un singe appelé Australopithecus anamensis - le plus ancien australopithèque connu dont le genre a pu exister il y a 4,2 millions d'années. On pensait qu'A. anamensis était l'ancêtre direct d'une espèce plus tardive et plus avancée appelée Australopithecus afarensis, qui à son tour a été considérée comme l'ancêtre direct des premiers humains du groupe, ou genre Homo, et qui comprend tous les humains vivants aujourd'hui. Différentes vues du nouveau spécimen (en bas à gauche). La créature avait des mâchoires saillantes et de petits trous d'oreille. La découverte du premier squelette afarensis en 1974 a fait sensation. Elle a été surnommée Lucy par les chercheurs d'après la chanson des Beetles, Lucy in the Sky With Diamonds, qui passait sur le site de fouilles au moment de la trouvaille. Saluée comme \"le premier singe à avoir marché\", Lucy a attiré l'attention du public. Fred Spoor, du Muséum d'histoire naturelle de Londres, a déclaré que l'anamensis \" semble destiné à devenir une autre icône célèbre de l'évolution humaine \". A regarder : L'ancêtre des Britanniques avait était un noir aux yeux bleus La raison de ce statut est que nous pouvons maintenant dire que l'anamensis et l'afarensis se chevauchent dans le temps. Le premier n'a pas évolué directement dans le second de façon linéaire et nette, comme on le supposait auparavant. La prise de conscience s'effectue par la réinterprétation que le nouveau fossile apporte sur un fragment de crâne de 3,9 millions d'années découvert précédemment. Ce fragment avait été assigné à l'anamensis. Les scientifiques peuvent maintenant voir qu'il s'agit en fait des restes d'un afarensis, repoussant l'origine de cette espèce encore plus loin dans le passé. Il est maintenant évident que les deux espèces doivent avoir coexisté pendant au moins 100 000 ans. Ce qui s'est probablement produit, c'est qu'un petit groupe d'anamensis s'est isolé de la population principale et s'est transformé au fil du temps en afarensis à cause des adaptations aux conditions locales. Les deux types ont cohabité pendant un certain temps avant que l'anamensis ne s'éteigne. Cette découverte est importante parce qu'elle suggère que d'autres chevauchements avec d'autres espèces avancées de grands singes ont pu se produire, augmentant ainsi le nombre de voies d'évolution potentielles vers les premiers humains. Lire aussi : D'où vient le langage, pourquoi parlons-nous? Un guide sur les \"trésors pillés\" de l'Afrique Bref, bien que cette dernière découverte ne réfute pas le fait que l'espèce de Lucy ait donné naissance au groupe Homo, elle met en cause d'autres espèces récemment nommées. Le professeur Haile-Selassie a convenu que \"tous les paris sont maintenant ouverts\" quant à l'espèce qui est l'ancêtre direct de l'humanité. Il m'a expliqué : \"Pendant longtemps, Afarensis a été considéré comme le meilleur candidat pour être l'ancêtre de notre espèce, mais les choses ont changé. Maintenant, nous pouvons regarder à nouveau toutes les espèces qui auraient pu exister à l'époque et examiner laquelle ressemblerait le plus à la première espèce humaine.\" Les restes d'un singe nommé Lucy que l'on pense être l'ancêtre des premiers humains. Le terme \"chaînon manquant\" rend les anthropologues fous lorsqu'ils entendent quelqu'un, en particulier les journalistes, l'utiliser pour décrire un fossile qui est en partie singe et en partie humain. En effet, le Dr Henry Gee, rédacteur en chef de Nature, a menacé un jour de \"m'arracher le foie et de le manger avec des oignons, des haricots borlotti et un verre de bordeaux\" si je le faisais en rapportant une découverte précédente. Il y a de nombreuses raisons à l'irritation d'Henry, mais la principale d'entre elles est la reconnaissance qu'il existe de nombreux maillons dans la chaîne de l'évolution humaine et que la plupart d'entre eux, sinon presque tous, sont toujours manquants. Amenenis est la dernière d'une série de découvertes récentes qui montrent qu'il n'y avait pas de ligne droite et directe vers les humains modernes. A regarder : L'homo sapiens, l'ancêtre de l'homme moderne, n'était pas seul La vérité est beaucoup plus complexe et beaucoup plus intéressante. Il raconte l'histoire d'une évolution qui a permis de \"tester\" différents ancêtres humains \"prototypes\" en différents endroits jusqu'à ce que certains d'entre eux soient assez résistants et intelligents pour résister aux pressions exercées par les changements climatiques, l'habitat et la pénurie alimentaire - et évoluer jusqu'à nous. Le professeur Haile-Selassie est l'un des rares scientifiques africains à travailler sur l'évolution humaine. Son nom est maintenant reconnu, mais il dit qu'il est difficile pour les chercheurs africains qualifiés d'obtenir le soutien financier nécessaire des organisations occidentales de financement de la recherche. \"La plupart des preuves fossiles liées à notre origine proviennent d'Afrique et je pense que les Africains devraient pouvoir utiliser les ressources disponibles sur leur propre continent et faire progresser leur carrière en paléoanthropologie. Leurs limites pour accéder à ce domaine d'études sont habituellement le financement \", m'a-t-il dit."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52946738", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-52954769", "doc1": "এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার তেমন প্রয়োজন নেই সংস্থাটি বলছে মাস্ক পরলে 'জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট' থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ এর মধ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরার উপদেশ দিয়েছে। কিছু দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় মানুষকে 'কাপড়ের মাস্ক - যেটি মেডিক্যাল মাস্ক নয়' পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবসময়ই বলে এসেছে যে মেডিক্যাল ফেস মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবার সাথে জড়িতদের ব্যবহার করা উচিত। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা ���্রয়োজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ কী? সংস্থাটি বলছে গত কয়েক সপ্তাহে চালানো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডা ভ্যান কেরখোভ বলেন, \"আমরা সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।\" পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিও বলছে যে অনেক রকম সুরক্ষা উপকরণের মধ্যে মাস্ক একটি। তবে মানুষ যেন মনে না করে যে মাস্ক পরলে তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, \"শুধু মাস্ক কখনো আপনাকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখবে না।\" বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন নতুন এই উপদেশ দেয়ায় মাস্ক পরা না পরা নিয়ে নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন আনলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। ঐ যুক্তিগুলো এখনো বাতিল করে দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তবে তারা বলছে সংক্রমণের বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। তারা বলছে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের - উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েকদিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণ করতে পারে, আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না তাদের মধ্যে - ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা। কাজেই যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় - গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট - সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যাদের বয়স ষাটের ওপর এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা আরো উন্নত মেডিকেল গ্রেড মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।", "doc2": "Il affirme qu'ils devraient désormais être portés en public lorsque la distanciation sociale n'est pas possible pour aider à stopper la propagation du coronavirus. L'Oms souligne que de nouvelles informations montrent que les masques peuvent constituer \"une barrière pour les gouttelettes potentiellement infectieuses\". Certains pays recommandent ou imposent déjà le port du masque en public. Lire aussi L'OMS avait précédemment fait valoir qu'il n'y avait pas suffisamment de preuves pour affirmer que les personnes en bonne santé devraient porter des masques. Toutefois, le directeur général de l'OMS, le Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus, a déclaré vendredi que \"compte tenu de l'évolution des preuves, l'OMS conseille aux gouvernements d'encourager le grand public à porter des masques là où la transmission est répandue et où la distanciation physique est difficile, comme dans les transports publics, dans les magasins ou dans d'autres environnements confinés ou surpeuplés\". L'organisation a toujours conseillé que les masques médicaux soient portés par les personnes malades et par celles qui les soignent. Dans le monde, il y a eu 6,7 millions de cas confirmés de coronavirus et près de 400 000 décès depuis le début de l'épidémie à la fin de l'année dernière, selon les données compilées par l'université Johns Hopkins."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48744143", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48828261", "doc1": "আপনার ফোনের গোপন তথ্য আর গোপন থাকছে না? এটি কি কখনো আপনার মনে আসে যে আপনার পকেটের ভেতরেই আসলে লুকিয়ে আছে এক গুপ্তচর? বহু দূর থেকেই হ্যাকাররা আপনার মোবাইল ফোনে স্পাইওয়্যার বা গুপ্তচর-প্রযুক্তি ঢুকিয়ে দিয়ে আপনার ফোনে থাকা সব তথ্য পেয়ে যেতে পারে। এরকম একটি অবস্থা কল্পনা করুন - যেখানে এই স্পাইওয়্যার দিয়ে কেউ আপনার ফোনের মাইক্রোফোন থেকে শুরু করে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত নিয়ে নিচ্ছে। মনে হতে পারে একটি বেশ কষ্টকল্পিত ব্যাপার, কিন্তু আসলে তা নয়। এরকম সফ্টওয়্যার এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এই সফ্টওয়্যার এখন ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবাদিক, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী বা আইনজীবীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য। কিন্তু কারা এ কাজ করছে এবং কেন? আমাদের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন যে গুপ্তচরে পরিণত না হয়, তা ঠেকানোর জন্য আমরা কী করতে পারি? সফটওয়্যার যখন অস্ত্র মাইক মারে একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। কাজ করেন স্যান ফ্র্যান্সিসকোর 'লুকআউট' নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। মোবাইল ফোন এবং এতে সংরক্ষিত তথ্য কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে তারা পরামর্শ দেয় বিভিন্ন দেশের সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি পর্যায়ের ভোক্তাদের। ফোনের ক্যামেরা মানুষের চোখের মতই, সামনে যা আছে সবই দেখতে পায়। বিশ্বের সর্বাধুনিক এই গুপ্তচর প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করছিলেন তিনি। তার মতে, এই প্রযুক্তি এতটাই শক্তিশালী এবং মারাত্মক যে একে একটি 'অস্ত্র' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। \"যারা এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে তারা আপনার ফোনের জিপিএসের মাধ্যমে আপনাকে সব জায়গায় অনুসরণ করতে পারে\", বলছেন মাইক মারে। \"ওরা যে কোন সময় আপনার ফোনের মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা অন করতে পারে এবং আপনার চারপাশে যা ঘটছে তার সবকিছু রেকর্ড করতে পারে। আপনার ফোনে যত রকমের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ আছে, সবগুলোতে তারা ঢুকে পড���তে পারে। ওরা আপনার সব ছবি, কনট্যাক্ট, আপনার ক্যালেন্ডারের সব তথ্য, আপনার সব ইমেইল, যত রকমের ডকুমেন্ট - সব চুরি করতে পারে।\" \"এটি কার্যত আপনার ফোনকে একটি আড়িপাতা যন্ত্রে পরিণত করে। যেটি দিয়ে তারা আপনার প্রতি মূহুর্তের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালায়। আপনার ফোনের সব তথ্য চুরি করে।\" স্পাইওয়্যারের ব্যবহার নতুন কোন জিনিস নয়। বহু বছর ধরেই নানা রকমের স্পাইওয়্যার চালু আছে। কিন্তু এই সর্বশেষ স্পাইওয়্যার এতটাই মারাত্মক যে এটি আসলে সাইবার নিরাপত্তার জন্য খুবই ভিন্ন ধরণের এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। কঠোর গোপনীয়তার পরও শেষরক্ষা হয়নি, এল চ্যাপো ধরা পড়েছেন। এই স্পাইওয়্যারের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি কারও মোবাইল ফোনের তথ্য আদান-প্রদানের সময় নয়, বরং ফোনে থাকা অবস্থাতেই চুরি করে। এটি মোবাইল ফোনের যত রকমের কাজ, সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আর এই প্রযুক্তি এতটাই অত্যাধুনিক যে এটিকে সনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। মেক্সিকোর মাদক সম্রাটকে যেভাবে ধরা হয় মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট এল চ্যাপো। তার ছিল কয়েকশো কোটি ডলারের মাদক ব্যবসা। একবার জেল থেকে পালানোর পর ছয় মাস ধরে পালিয়ে ছিলেন এল চ্যাপো। মাদক ব্যবসার জন্য তার যে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, সেটি তাকে পালিয়ে থাকতে সাহায্য করে। এল চ্যাপো তখন কেবল একটি এনক্রিপ্টেড ফোন দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। এই মোবাইল ফোন হ্যাক করা অসম্ভব বলেই মনে করা হতো। কিন্তু মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ নাকি খুবই অত্যাধুনিক গুপ্তচর প্রযুক্তি কিনেছিল এল চ্যাপোকে ধরার জন্য। এল চ্যাপোর ঘনিষ্ঠ মহলের লোকজনের ফোনে তারা এই স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে তারা এল চ্যাপোর গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। এল চ্যাপোকে এভাবে ধরার পর এই স্পাইওয়্যার যে কতটা শক্তিশালী, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। সন্ত্রাসবাদী এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এধরণের স্পাইওয়্যার এক মূল্যবান অস্ত্রে পরিণত হলো। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ ধরণের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এনক্রিপ্টেড ফোন এবং অ্যাপসে ঢোকার মাধ্যমে হয়তো অনেক চরমপন্থীকে ধরতে পেরেছে, অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। কোন ইমেলের পেছনে কে, কীভাবে জানা সম্ভব? কিন্তু এই একই অস্ত্র যদি যে কেউ কিনতে পারে এবং যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে, তখন কী হবে? যারা তাদের কাজকর্মের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষুব্ধ করেছে, তারা কি এখন এরকম অস্ত্রের মাধ্যমে সরকারের দিক থেকে হ্যাকিং এর ঝুঁকিতে আছে? যে ব্রিটিশ ব্লগারকে টার্গেট করা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে একটি ওয়েবসাইট চালাতে রোরি ডোনাগি নামে এক ব্লগার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে, তিনি সেসব বিষয় নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। অভিবাসী শ্রমিক থেকে শুরু করে পর্যটক, যারাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরকম ঘটনার শিকার হতেন, তাদের ঘটনা তিনি তুলে ধরতেন। আরও পড়ুন 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং: নিরাপদ থাকতে কি করবেন? সাইবার হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিকল? তার ওয়েবসাইটের পাঠক ছিলেন মাত্র কয়েকশ। প্রতিদিনের সংবাদে যে ধরণের ঘটনা আমরা দেখি, তার শিরোণামগুলো তার চেয়ে মারাত্মক কিছু ছিল না। রোগি ডোনাগি যখন 'মিডলইস্ট আই' নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইটে কাজ করা শুরু করলেন, তখন তার কাছে কিছু অদ্ভূত ইমেইল আসতে শুরু করলো। অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে আসা এসব ইমেইলে কিছু লিংকও থাকতো। রোরি এরকম একটি সন্দেহজনক ইমেইল 'সিটিজেন ল্যাব' নামে একটি গবেষণা দলের কাছে ফরোয়ার্ড করলেন। ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর এই গবেষক দল তখন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে কিভাবে ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি চলছে, তা নিয়ে কাজ করছিল। এই গবেষক দল রোরিকে জানালেন, যে লিংক তাকে পাঠানো হচ্ছে অপরিচিত ইমেইল থেকে, সেটি আসলে একটি 'ম্যালওয়্যার' ডাউনলোড করার লিংক। এই ম্যালওয়্যার এতটাই অত্যাধুনিক যে, এটি ইনস্টল হওয়ার পরও টের পাওয়া যাবে না যে ফোনের ভেতর এটি ঢুকে পড়েছে। ফোনের স্ক্রীনে কোন কিছু খোলার আগে দুবার ভাবুন। পরে অনুসন্ধানে দেখা গেল, রোরিকে যারা এই ম্যালওয়্যার পাঠাচ্ছিল, তারা আসলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের পক্ষে কাজ করা একটি সাইবার গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার যাদেরকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে গণ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। ব্রিটিশ ব্লগার রোরির প্রতিটি কাজ কর্ম এবং তার পরিবারের সব সদস্যের ওপরেও তারা নজরদারি চালাচ্ছিল। নাগরিক অধিকার কর্মীকে টার্গেট সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার আহমেদ মনসুর নামের এক নাগরিক অধিকার কর্মীকেও টার্গেট করে। ২০১৬ সালে তিনি একটি সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ পান। তিনিও তার এই টেক্সট মেসেজটি পাঠিয়ে দেন ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর সিটিজেন ল্যাবের কাছে। একটি আইফোন থেকে এই লিংকটি ক্লিক করেন সিটিজেন ল্যাবের গবেষকরা। এরপর তারা যা দেখলেন, তা অবাক করলো তাদের। মোবাইল ফোনটি দূর থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এটি থেকে সব তথ্য বেরিয়ে যাচ্ছে। আইফোনকে এই মূহুর্তে বাজারে চালু ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই স্পাইওয়্যার আইফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও একটা দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছে। এ ঘটনার পর অ্যাপল তাদের সব আইফোনের জন্য একটি সিকিউরিটি আপডেট ছাড়তে বাধ্য হয়। কেউ যদি আপনার ফোনে আড়ি পেতে সব কথা শোনে, তার পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর আহমেদ মনসুরের স্মার্টফোন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার কী তথ্য পেয়েছিল, তা পরিস্কার নয়। কিন্তু আহমেদ মনসুরকে সরকার গ্রেফতার করে দশ বছরের সাজা দেয়া হয়। তাকে এখন নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইন মেনে কাজ করে। তবে বিশ্বের আর সব দেশের মতোই তারা গুপ্তচর সংস্থার কাজ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করে না। সাংবাদিক যখন টার্গেট ২০১৮ সালের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে ঢোকেন। এরপর তাকে আর বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। সেখানে তাকে হত্যা করে সৌদি সরকারের এজেন্টরা। জামাল খাশোগজির একজন বন্ধু ওমর আবদুল আজিজ দেখেছেন, তার ফোনটি সৌদি সরকার হ্যাক করেছিল। ওমর মনে করেন, জামাল খাশোগজিকে হত্যার ক্ষেত্রে তার ফোন হ্যাকিং এর ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জামাল খাশোগজির সঙ্গে ওমর নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং রাজনীতি নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক আলাপ হতো। তাদের দুজন যৌথভাবে কিছু কাজও করছিলেন। 'জিরো ক্লিক প্রযুক্তি'র পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর সৌদি সরকার কিন্তু এই দুজনের মধ্যে এসব আলোচনার পুরোটাই জানতে পারছিল।। তাদের দুজনের মধ্যে যেসব ডকুমেন্ট আদান-প্রদান হচ্ছিল, সেগুলোও তারা পাচ্ছিল। এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের ভাষ্য হচ্ছে, মোবাইল ফোন হ্যাক করার মতো অনেক সফটওয়্যার বাজারে আছে। কিন্তু এমন প্রমাণ নেই যে সৌদি সরকারই এর পেছনে আছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে হ্যাকিং ২��১৯ সালের মে মাসে হোয়াটঅ্যাপ মেসেঞ্জারের নিরাপত্তায় একটা বড় ধরণের ফাঁক তৈরি হয়। বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষ প্রতিদিন তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন। এই হ্যাকিং এর ফলে কেউ কেবল আপনার ফোন কলেই শুধু আড়ি পাততে পারবেন, এটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে ভুল করবেন। এটি আসলে ফোনের সফটওয়্যারে ঢোকার রাস্তা তৈরি করলো মাত্র। একবার এই পথ তৈরি হওয়ার পর হ্যাকাররা সেই ফোনে তাদের ইচ্ছেমত যত খুশি স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে যাকে টার্গেট করা হয়েছে, তাকে হয়তো কোন লিংকে ক্লিকও করতে হবে না। একটি ফোন কল করেই তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে। ফোন করে কলটি কেটে দেয়া হয়েছে। একে বলা হয় 'জিরো ক্লিক' টেকনোলজি। হোয়াটসঅ্যাপ অবশ্য খুব দ্রুতই এর মোকাবেলায় আপডেট ছাড়ে। কিন্তু এখনো কেউ জানে না, এই হ্যাকিং প্রযুক্তির পেছনে কে ছিল। হোয়াটসঅ্যাপের পর এবার টার্গেট কোন অ্যাপ? ফোন হ্যাকিং এর জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কি দায়ী করা যাবে? হ্যাকিং এর বিরুদ্ধে লড়াই এ ধরণের স্পাইওয়্যার যারা তৈরি করে, তারা চাইলেই যে কোন দেশে তা বিক্রি করতে পারে না। এর জন্য একধরণের 'এক্সপোর্ট লাইসেন্সের' দরকার হয়, যেমন লাগে অস্ত্র বিক্রির জন্য। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীদের থামাতেই এধরণের স্পাইওয়্যার কাজে লাগানোর কথা। তবে সিটিজেন ল্যাব এ নিয়ে যে ফাইলটি তৈরি করেছে তাতে তারা বলছে, এই প্রযুক্তি যেসব সরকার কিনেছে, তারা এটির অপব্যবহার করছে। এই সফটওয়্যার যারা তৈরি করেছে, তাদেরকে কি এজন্যে দায়ী করা যাবে? এরকম স্পাইওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে সবচেযে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে একটি ইসরায়েলি কোম্পানি- এনএসও গ্রুপ। এরা গত এক দশক ধরে এই ব্যবসায় আছে এবং এই ব্যবসা থেকে তারা শত শত কোটি ডলার মুনাফা করছে। আবদুলআজিজের আইনজীবী এই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মক্কেলের ফোন হ্যাক করার অভিযোগে। এই মামলার ফল কী দাঁড়ায় তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর তৈরি সফটওয়্যার কি কাজে ব্যবহৃত হয়, সেটির দায় কোম্পানির ওপর বর্তায় কীনা, সেই প্রশ্নের মীমাংসা হতে পারে এই মামলার মাধ্যমে। অপরিচিত লোকের কাছ থেকে আসা ইমেইল বা টেক্সট মেসেজ খোলার আগে ভাবুন। ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও এ বিষয়ে বিবিসিকে কোন সাক্ষাৎকার দ��তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুরুতর অপরাধ প্রতিরোধ এবং তদন্তের জন্য যে ধরণের প্রযুক্তি দরকার, তারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেরকম প্রযুক্তি সরবরাহ করে। তাদের প্রযুক্তি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। কিন্তু যে আইনজীবী এই মামলা লড়ছেন, তার ফোনে কিন্তু এরই মধ্যে রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ ফোনকল আসতে শুরু করেছে। যে স্পাইওয়্যার ডিলিট করা যাবে না এরকম একটি স্পাইওয়্যার তৈরি করারই স্বপ্ন দেখে এই ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করে তারা। যে স্পাইওয়্যার কেউ ধরতেই পারবে না, কেউ ডিলিট করতে পারবে না—এটি তাদের চরম আরাধ্য। যদি তারা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, তাহলে যার ফোন হ্যাক হয়েছে, সে কোনদিন অভিযোগই করবে না, কারণ সে জানতেই পারবে না তার ফোন হ্যাক হয়েছে। ব্যাপারটা হয়তো জেমস বন্ড ছবির কাহিনীর মতো মনে হতে পারে, কিন্তু এর মারাত্মক পরিণতি আছে বিশ্বের জন্য। আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার জন্য এরকম চরম হুমকি সত্যিই আছে এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই কথাটা মনে রাখা দরকার।", "doc2": "Qui a accès à vos données ? Et si c'était aussi une fenêtre sur votre vie privée ? Avez-vous déjà pensé au fait qu'il pourrait y avoir un espion dans votre poche ? Imaginez si les pirates pouvaient installer à distance sur votre téléphone des logiciels espions qui leur donnaient accès à tout - y compris aux messages cryptés - et leur permettaient même de contrôler le microphone et la caméra ? Lire aussi : La Suisse défie les hackers Piratage massif de sites web du gouvernement kenyan Eh bien, ce n'est pas aussi tiré par les cheveux qu'il n'y paraît, et nous avons examiné les preuves que des logiciels sont utilisés pour suivre le travail des journalistes, des militants et des avocats partout dans le monde. Mais qui le fait et pourquoi ? Et que peut-on faire contre les logiciels espions potentiels dans nos poches ? Un logicielsi puissant qu'il est classifié comme une arme La caméra d'un téléphone est comme un œil - elle voit tout ce qui se trouve devant elle. Mike Murray est un spécialiste de la cybersécurité chez Lookout à San Francisco, une entreprise qui aide les gouvernements, les entreprises et les consommateurs à protéger leur téléphone et leurs données. Il explique comment fonctionne le logiciel d'espionnage le plus sophistiqué jamais développé : un logiciel si puissant qu'il est classé comme une arme, et ne peut être vendu que dans des conditions strictes. \"L'opérateur du logiciel peut vous suivre avec votre GPS \", dit Mike. \"Ils peuvent allumer le microphone et la caméra à tout moment et enregistrer tout ce qui se passe autour de vous. Il vole l'accès à toutes les applications de médias sociaux que vous avez ; il vole toutes vos photos, vos contacts, vos informations de calendrier, votre courriel, tous les documents que vous avez.\" Lire aussi : WhatsApp infecté par un logiciel espion Pourquoi le bras de fer entre Huawei et Google inquiète l'Afrique \"Il transforme littéralement votre téléphone en un appareil d'écoute avec lequel ils peuvent vous suivre - et il vole tout ce qui s'y trouve.\" Les logiciels espions existent depuis des années, mais avec cela, nous entrons dans un tout nouveau monde. Ce logiciel n'intercepte pas les données en transit, alors qu'elles sont normalement déjà cryptées, mais lorsqu'elles sont encore sur votre téléphone, il prend en charge toutes les fonctions - et la technologie est si avancée qu'elle est presque impossible à détecter. La capture d'un baron de la drogue mexicain Aucun cryptage n'a pu empêcher le baron de la drogue \"El Chapo\" d'être traqué et arrêté. Le baron de la drogue mexicain El Chapo avait un empire de plusieurs milliards de dollars. Après s'être évadé de prison, il s'est enfui pendant six mois, aidé et protégé par son vaste réseau - il ne communiquait que par téléphone crypté, soi-disant impossible à pirater. Mais les autorités mexicaines auraient acheté un nouveau logiciel d'espionnage avancé et auraient réussi à infecter les téléphones des membres de son entourage, ce qui les a conduits à sa cachette. Lire aussi : Les cybercriminels ont empoché 25 millions $ en 2 ans Une faille rend les réseaux wifi \"piratables\" La capture d'El Chapo montre comment ce type de logiciel pourrait être une arme précieuse dans la lutte contre les terroristes et le crime organisé : de nombreuses vies auraient pu être sauvées et des extrémistes violents arrêtés, avec l'aide de sociétés de sécurité piratant des téléphones et applications chiffrés. Mais qu'est-ce qui empêche les acheteurs de ces \"armes\" de les retourner contre qui ils veulent ? Y a-t-il quelqu'un qui dérange leur gouvernement et qui risque d'être piraté ? Un bloggeur britannique ciblé Comment savez-vous qui est derrière un e-mail ? Rori Donaghy est un bloggeur qui a mis sur pied un groupe de campagne et un site Web au Moyen-Orient. Il rend compte des violations des droits de l'homme dans les Émirats arabes unis, qu'il s'agisse du traitement des travailleurs migrants ou des touristes en infraction avec la loi. Son lectorat n'était que de quelques centaines de personnes, et ses titres n'étaient rien de plus incendiaires que ceux qui faisaient la une des journaux tous les jours. C'est lorsqu'il a commencé à travailler sur le site web d'actualités Middle East Eye qu'il s'est produit quelque chose d'étrange : il a commencé à recevoir d'étranges e-mails d'expéditeurs inconnus, contenant des liens. Lire aussi : Yahoo: trois milliards de comptes piratés Un holding d'assurance sud-africain victime d'une cyberattaque Rori a transmis un courriel suspect à un groupe de recherche appelé Citizen Lab, basé à l'Université de Toronto, qui enquête sur l'utilisation abusive de l'espionnage numérique contre des journalistes et des défenseurs des droits humains. Ils ont confirmé que le lien visait à lui faire télécharger des logiciels malveillants sur son appareil, mais aussi d'informer l'expéditeur du type de protection antivirus dont il disposait afin que les logiciels malveillants ne soient pas détectés - un véritable signe de sophistication. Ceux qui visaient Rori se sont avérés être une société de cyber espionnage travaillant pour le gouvernement des Émirats arabes unis à Abu Dhabi, surveillant des groupes que le gouvernement considère comme des extrémistes et des risques pour la sécurité nationale. Ils avaient même donné un nom de code à ce bloggeur britannique - \"Giro\" - et surveillaient les membres de sa famille ainsi que ses moindres gestes. Un militant des droits civiques dans le viseur Attention à ce que vous tapez sur votre écran Ahmed Mansoor, un militant des droits civiques renommé et primé, est la cible d'une surveillance exercée par le gouvernement des Émirats arabes unis depuis des années. En 2016, il a reçu un SMS suspect, qu'il a également partagé avec The Citizen Lab. À l'aide d'un iPhone vierge, l'équipe de recherche a cliqué sur le lien - et ce qu'ils ont vu les a étonnés : ils ont vu le téléphone intelligent être infecté à distance et les données sortir en continu du dispositif. L'iPhone est censé être l'un des téléphones les plus sûrs du marché, mais le logiciel espion - l'un des logiciels espions les plus sophistiqués de ce type jamais vu - avait trouvé un vortex dans le système Apple. Lire aussi : L'homme qui vous informe sur l'Etat le plus secret d'Afrique Cyber attaque: la Corée du Nord indexée Apple a été contraint de publier une mise à jour pour chacun de ses téléphones dans le monde. On ne sait pas exactement quelles informations ont été recueillies sur le téléphone de Mansoor, mais il a ensuite été arrêté et emprisonné pendant dix ans. Il est maintenant en cellule d'isolement. L'ambassade des Émirats arabes unis à Londres a déclaré à la BBC que ses institutions de sécurité se conforment strictement aux normes internationales et au droit interne, mais, comme tous les autres pays, elle ne commente pas les questions de renseignement... Le journaliste saoudien assassiné Jamal Khashoggivictime de piratage? Que se passe-t-il si un d'inconnu écoute vos conversations ? En octobre 2018, le journaliste Jamal Khashoggi est entré à l'ambassade saoudienne à Istanbul et n'est jamais réapparu. Il a été tué par des agents du régime saoudien. Un ami du journaliste, Omar Abdulaziz, a découvert que son téléphone avait été piraté - dit-il - par le gouvernement saoudien. Lire aussi : Jamal Khashoggi aurait été décapité L'Arabie saoudite admet l'assassinat de Khashoggi Omar croit que ce piratage a joué un rôle important dans le meurtre présumé de son mentor. Ils étaient en contact régulièrement et ont eu de nombreuses discussions sur la politique et les projets communs. Pendant longtemps, le gouvernement saoudien a eu accès à ces discussions et à tout échange de documents ou de dossiers entre eux. La réponse du gouvernement saoudien est que s'il existe des logiciels malveillants destinés aux téléphones mobiles en circulation, rien n'indique que l'Arabie saoudite soit derrière tout cela. Mon voisin, le pirate La \" technologie sans clic \" peut être le point d'entrée le plus facile dans le logiciel de votre téléphone. En mai 2019, il y a eu une brèche importante dans la sécurité du messager WhatsApp - une application que beaucoup utilisent pour parler à leurs amis et à leur famille sur une base quotidienne. Si vous pensiez que le piratage signifiait simplement que quelqu'un pouvait écouter les appels de WhatsApp, réfléchissez bien. L'application était simplement le point d'entrée dans le logiciel du téléphone : une fois ouvert, le pirate pouvait injecter une tonne de logiciels espions. Lire aussi : Piratage: deux espions russes inculpés dans l’affaire Yahoo Comment j'ai démasqué un cyber criminel Le destinataire n'était même pas obligé de cliquer sur un lien - l'appareil était accessible simplement en passant un appel, puis en raccrochant. C'est ce qu'on appelle la technologie du zéro clic. Whatsapp a rapidement publié des correctifs pour ses 1,5 milliards d'utilisateurs, mais personne ne sait qui était derrière le piratage. WhatsApp a été ciblé cette fois-ci, mais quelle sera l'application suivante ? Et par qui ? La riposte Qui est responsable des abus ? Les développeurs restent actifs dans le service et la maintenance de leurs logiciels espions après vente. Les développeurs de ce type de logiciels espions ont besoin de licences d'exportation spéciales - tout comme pour les contrats de défense. Ils sont vendus dans le seul but d'arrêter les grands criminels. Mais le Citizen Lab a créé tout un dossier sur ce qu'il croit être des abus de la part des gouvernements qui sont les clients de ces développeurs. Les développeurs de logiciels devraient-ils également être tenus responsables de ces abus ? Contrairement à d'autres armes - comme les armes à feu - le développeur reste actif dans le service et l'entretien du logiciel espion après la vente. Sont-ils donc coupables lorsque le logiciel est mal utilisé ? Lire aussi : Facebook subit la panne la plus grave de son histoire Burundi : une athlète victime de piratage Le principal acteur sur le marché de l'interception légale est une société israélienne appelée NSO Group. Elle existe depuis près d'une décennie et gagne des centaines de millions de dollars par an. L'avocat d'Abdulaziz poursuit l'entreprise en justice pour le piratage présumé du téléphone de son client. C'est un moment important, qui aidera à déterminer le rôle que jouent les sociétés de logiciels une fois que leur logiciel a été mis en service. L'ONS a refusé une demande d'entrevue, mais a déclaré dans une déclaration que sa technologie fournit aux organismes gouvernementaux autorisés les outils dont ils ont besoin pour prévenir et enquêter sur les crimes graves, et que sa technologie a sauvé de nombreuses vies. Pendant ce temps, l'avocat a commencé à recevoir de mystérieux appels WhatsApp... Combien de temps nous reste-t-il avant que les logiciels espions ne puissent plus être détectés du tout ? SMS ou courriel d'un expéditeur inconnu ? Ne cliquez pas sur le lien, quoi qu'il advienne.... Le but ultime de l'industrie de l'interception légale - le Saint Graal si vous voulez - est de développer des logiciels espions qui sont indétectables à 100%. S'ils y parviennent, personne ne peut signaler une mauvaise utilisation parce que personne ne le saura : nous serons tous entre les mains des développeurs pour savoir s'ils fonctionnent légalement ou non. Cela peut sembler être l'œuvre de James Bond, mais il y a de réelles conséquences dans ce nouveau monde. La menace est réelle et c'est quelque chose que nous devons tous garder à l'esprit pour l'avenir. Article adapté de l'émission de radio de la BBC, File on 4."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56973642", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56979662", "doc1": "যুদ্ধে আহত ইসরায়েলি সৈন্যরা সারোগেট থেরাপির খরচ দেয় সেদেশের সরকার ব্যাপারটা কিভাবে কাজ করে তা জানতে তেল আবিবে সেক্স থেরাপিস্ট রোনিট আলোনির ক্লিনিকে ঘুরে আসা যাক। ক্লিনিকটির কনসাল্টেশন রুমটি দেখতে আর দশটা সাধারণ ক্লিনিকের মতই। মিজ আলোনির মক্কেলদের জন্য ছোট কিন্তু আরামদায়ক একটি সোফা আছে। আর আছে নারী ও পুরুষের য���নাঙ্গের জীববৈজ্ঞানিক চিত্র - যা রোনিট আলোনি ব্যবহার করেন বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে বলার জন্য। কিন্তু এর পাশের ঘরটিতে যা হয় - তা বেশ অবাক হবার মতো। এতে আছে একটি সোফা-বেড এবং মোমবাতি। এখানে 'সারোগেট' বা ভাড়া করা সঙ্গীরা আসেন এবং তারা আলোনির মক্কেলদের শিখিয়ে দেন কীভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে হয়, এবং অবশেষে - কীভাবে যৌনমিলন করতে হয়। \"এটা কিন্তু দেখতে হোটেলের মত নয়। বরং এটা দেখতে অনেকটা একটা বাড়ি বা এ্যাপার্টমেন্টের মত\" - বলছেন আলোনি। এতে আছে একটি বিছানা, একটি সিডি প্লেয়ার, পাশে একটি স্নানের ঘর। আর ঘরের দেয়ালে আছে যৌনউত্তেজক নানা শিল্পকর্ম। \"অনেক দিক থেকেই সেক্স থেরাপি জিনিসটা হচ্ছে দু'জনের ব্যাপার । আপনার যদি একজন সঙ্গী না থাকে, তাহলে আপনি প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ করতে পারবেন না\" - বলছেন আলোনি, \"এখানে যিনি সারোগেট অর্থাৎ ভাড়ায় আসছেন, তিনি পুরুষ বা মহিলা যাই হোন - তার কাজটা হচ্ছে পার্টনারের ভুমিকাটা পালন করা।\" সমালোচকরা একে দেহ-ব্যবসার সাথে তুলনা করেছেন। কিন্তু ইসরায়েলে এটা এতটাই গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে যে যেসব সৈন্য আহত হবার কারণে যৌনক্ষমতা হারিয়েছেন - তাদের জন্য এই থেরাপির খরচ বহন করছে রাষ্ট্র। আলোনি তার ডক্টরেট করেছেন যৌন-পুনর্বাসনের ওপর। তিনি বলছেন, \"মানুষের জন্য এটা অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা অন্যকে যৌনসুখ দিতে পারে এবং অন্যের কাছ থেকে তা পেতে পারে।\" \"লোকে এখানে আসে চিকিৎসার জন্য, আনন্দের জন্য নয়। এখানে দেহব্যবসার সাথে মিলে যায় এমন কিছুই নেই\" - জোর দিয়ে বলছেন তিনি। \"তা ছাড়া ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই এখানকার থেরাপির সেশনগুলোর বিষয় হচ্ছে একান্ত ঘনিষ্ঠতা, স্পর্শ, দেয়া-নেয়া, যোগাযোগ ইত্যাদি। এখানে শেখানো হচ্ছে, কিভাবে একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনি অন্যদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।\" \"যে পর্যায়ে এসে আপনি যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলছেন - সেটা হচ্ছে এ প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ।\" এই সারোগেট যৌনসঙ্গী সেবা একেবারে প্রথম দিকে নিয়েছিলেন যে সৈনিকরা - তাদের একজন হচ্ছেন মি. এ (এই নামেই তিনি পরিচিত হতে চান।) প্রায় ৩০ বছর আগে রিজার্ভ সৈন্য থাকা অবস্থায় তিনি একটি দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন - যাতে তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। তিনি একটি উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। এতে তার কোমরের নিচ থেকে বাকি শরীর অসাড় হয়ে যায়, এবং তিনি আগেকার মত যৌনমিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'আমি ছেলে, কিন্তু আমার পিরিয়ড হয় কেন\": নারী ও পুরুষ দুই লিঙ্গ নিয়ে জন্ম যেসব শিশুর বেঁটে পুরুষদের কী যৌনসঙ্গী পেতে সমস্যা হয়? ভাইব্রেটর কি যৌন আনন্দ উপভোগে বাধা হতে পারে? নারীর যৌনতা নিয়ে গবেষণায় পথিকৃৎ বিংশ শতাব্দীর রাজকুমারী পর্নোগ্রাফি আসক্তি যেভাবে সব ধারণা বদলে দেয় সারোগেটরা তাদের মক্কেলের সাথে সেশনের বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন না মি. এ বলছেন, \"আমি আহত হবার পর একটা তালিকা করেছিলাম - কি কি করার সক্ষমতা আমাকে অর্জন করতেই হবে।\" \"সে তালিকায় ছিল - একা একা স্নান করতে পারা, নিজে নিজে খাওয়া ও কাপড় পরতে পারা, গাড়ি চালাতে পারা এবং কারো সাহায্য না নিয়ে সেক্স করতে পারা।\" মি. এ তখন বিবাহিত এবং সন্তানের পিতা, কিন্তু তার স্ত্রী ডাক্তার বা থেরাপিস্টদের সাথে সেক্স নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করতেন। ফলে তিনিই স্বামীকে পরামর্শ দিলেন, আলোনির সাহায্য নিতে। মি. এ বসে ছিলেন হুইলচেয়ারে। তার পরনে ট্র্যাকস্যুট। একটু পরই তিনি টেবিল টেনিস খেলবেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন - আলোনি কীভাবে তাকে এবং তার ভাড়াটে যৌনসঙ্গীকে প্রতিটি সেশনের আগে নির্দেশনা এবং মতামত জানাতেন। \"আপনি শুরু করছেন একেবারে প্রথম থেকে। আপনি এখানে হাত দিচ্ছেন, ওখানে স্পর্শ করছেন, এবং তার পর ধাপে ধাপে ব্যাপারটা এগুচ্ছে, একেবারে শেষ পর্ব পর্যন্ত - যা হচ্ছে অর্গাজম বা চরম তৃপ্তি লাভ করা।\" মি. এ যুক্তি দিচ্ছেন - সাপ্তাহিক এই সেশনগুলোর জন্য সরকার যে খরচ যোগাচ্ছে এটা ঠিকই আছে, কারণ তার অন্যান্য ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের খরচও তো সরকারই দিচ্ছে। বর্তমানে তিন মাসব্যাপি এই থেরাপি কর্মসূচির মোট ব্যয় হলো ৫,৪০০ ডলার। \"কোন ভাড়াটে যৌনসঙ্গীর কাছে যাওয়াটা আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল না\" - বলছেন মি. এ. \"আমি আমার সারোগেট সঙ্গীর প্রেমেও পড়িনি । আমি বিবাহিত। আমি শুধু চেয়েছিলাম কিভাবে আমার লক্ষ্য অর্জন করবো - সেই টেকনিকগুলো জানা।\" এ ব্যাপারে ভুল ধারণা তৈরির জন্য তিনি পশ্চিমা দুনিয়ায় সেক্স নিয়ে যেসব ধ্যান-ধারণা আছে তাকেই দায়ী করেন। \"যৌনতা জীবনের অংশ, জীবনের তৃপ্তি। আমি কোন ক্যাসানোভা হতে চাচ্ছি না\" - বলেন মি. এ। আলোনির ক্লিনিকে আসেন নানা বয়স ও পেশার লোকজন। এদের অনেকে দুশ্চিন্তা বা সম্পর্কঘটিত নানা কারণে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। কেউ কেউ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আবার অনেকে আছেন - যারা শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। আলোনি তার এই কেরিয়ারে বিশেষ করে নানা ধরনের প্রতিবন্ধী মক্কেলদের ওপরই মনোযোগ দিচ্ছেন। এর একটা কারণ - তার নিজ পরিবারেই কিছু স্বজনের প্রতিবন্ধিতার সমস্যা রয়েছে। তার পিতা ছিলেন একজন পাইলট, যিনি এক বিমান বিধ্বস্ত হবার ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছিলেন। আলোনি পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্কে। সেই সময় তার সাথে এমন একজন সারোগেটের ঘনিষ্ঠতা হয় যিনি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতেন। ১৯৮০র দশকে ইসরায়েলে ফিরে আসার পর তিনি যৌন সারোগেট বিষয়ে নেতৃস্থানীয় ইহুদি ধর্মগুরুদের অনুমোদন নেন। তার পর শুরু করেন একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে থেরাপি দেয়ার কাজ। ধর্মগুরুরা একটি নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলেন যে কোন বিবাহিত পুরুষ বা নারী সারোগেট হিসেবে কাজ করতে পারবে না। আলোনি এখন পর্যন্ত সেই নিয়ম মেনে চলেছেন। এক সময় তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও পান। তার ক্লিনিকে ভাড়াটে যৌনসঙ্গী দিয়ে থেরাপি গ্রহণ করেছেন প্রায় ১০০০ লোক। এর মধ্যে অনেকেই ছিলেন সাবেক সৈনিক - যারা মস্তিষ্ক বা শিরদাঁড়ায় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতপ্রাপ্ত। এদের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে রাষ্ট্র। আলোনি মনে করেন ইসরায়েলের পরিবার-ভিত্তিক সংস্কৃতি এবং সামরিক বাহিনীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী তার পক্ষে কাজ করেছে। ১৮ বছর বয়স হলে বেশির ভাগ ইসরায়েলিকেই সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হয় এবং তারা চাইলে মধ্যবয়স পর্যন্ত রিজার্ভ সৈন্য হিসেবে কাজ করতে পারে। \"এ দেশটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই সব সময়ই আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই আছি\" - বলেন আলোনি। \"ইসরায়েলে সবারই পরিচিতদের মধ্যে কেউ না কেউ আছে যে যুদ্ধে আহত হয়েছে, বা মারা গেছে।তাই সবারই এ ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী আছে।\" কথা হয় আরেকজন সাবেক রিজার্ভ সৈন্যের সাথে - যিনি ২০০৬ সালে লেবাননের যুদ্ধে মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তাকে তিন বছর হাসপাতালে কাটাতে হয়। প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি বয়সের দীর্ঘদেহী লোকটি থাকেন মধ্য ইসরায়েলে। তার নাম - ধরা যাক, ডেভিড। তিনি তার বাড়ির বাগানে বসে ছিলেন, কোলের ওপর একটা কম্বল দিয়ে ঢাকা। তিনি কথা বলতে বা নড়াচড়া করতে পারেন না। তিনি শুধু তার থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। বিবিসি বাংলায় আ���ো পড়তে পারেন: ভারতীয় চলচ্চিত্রে যৌন দৃশ্যের নির্দেশনা দেন যিনি যুক্তরাজ্যের কিছু নারী যেভাবে ফেসবুকে খুঁজে নিচ্ছেন শুক্রাণু দাতা ইতিহাসের সাক্ষী: নারী ও নারীদেহ নিয়ে বিতর্কিত সেই বইটি ঔপনিবেশিক ভারতে যে কারণে নারীদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষার আইন ছিল লেবাননের যুদ্ধে গুরুতর আহত হন সাবেক ইসরায়েলি সৈন্য ডেভিড থেরাপিস্ট তার হাতে কলম দিয়ে হাতটা ধরে রাখলে তিনি একটা সাদা বোর্ডের ওপর লিখতে পারেন। ডেভিড বলছেন, তার বাঁচার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সারোগেট সেক্স থেরাপি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। \"থেরাপির মাধ্যমে আমি আবার অনুভব করতে শুরু করলাম যে আমি একজন পুরুষ, একজন সুদর্শন যুবক। এটা আমাকে শক্তি এবং আশা যুগিয়েছে।\" তার সারোগেট যৌনসঙ্গীর সাথে তার এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু এ সম্পর্ক তো স্থায়ী হবার নয়। এটা কি ডেভিডকে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত করবে না? \"প্রথম দিকে এটা কঠিন ছিল। কারণ আমি সেই সারোগেটকে শুধু আমার নিজের করে নিতে চাইতাম। তবে পরে আমি উপলব্ধি করি যে আমরা পার্টনার না থাকলেও ভালো বন্ধু হয়ে থাকতে পারি। এটা খুবই মূল্যবান এবং তা আমাকে জীবনটাকে আবার গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।\" সাধারণত নিয়ম হলো: থেরাপি সেশনের বাইরে একজন মক্কেল এবং তার সারোগেট যৌনসঙ্গী কোন যোগাযোগ করতে পারবেন না। কিন্তু ডেভিডকে দেয়া হয় এক বিশেষ অনুমতি । যাতে তিনি এবং সেরাফিনা - সেই সারোগেট নারীর ছদ্মনাম - ক্লিনিকের বাইরেও যোগাযোগ রাখতে পারেন। ডেভিডের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, এই চিকিৎসার পর থেকে ডেভিডের মধ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি এখন তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য পরিকল্পনা করছেন। যদিও তার জন্য যৌনজীবন যাপন করা বেশ কঠিন - কিন্তু তবুও কোভিড মহামারির আগে পর্যন্ত তিনি তার সামাজিক মেলামেশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেরাফিনা সারোগেট হিসেবে রোনিট আলোনির ক্লিনিকে কাজ করছেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে - অবশ্য এর পাশাপাশি তিনি অন্য আরেকটি চাকরিও করেন। উষ্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী এবং বাকপটু সেরাফিনা সম্প্রতি তার সারোগেট পেশার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। \"মোর দ্যান এ সেক্স সারোগেট\" নামের বইটিকে তার প্রকাশক বর্ণনা করেছেন \"ঘনিষ্ঠতা, গোপন বিষয়, আর কীভাবে আমরা ভালোবাসি - তার এক অনন্য স্মৃতিচারণ।\" সেরাফিনা বলছেন, যে মানুষরা গোপনে নানা কষ্টে ভোগে, তা বহন করে বেড়ায় - তাদের সাহায্য করার জন্যই তার এই পেশায় আসা। \"থেরাপির জন্য আমার দেহ বা যৌনতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি ছিল না\" - বলেন তিনি। সেরাফিনা এ পর্যন্ত ৪০ জন মক্কেলের সাথে কাজ করেছেন, এর মধ্যে ডেভিড ছাড়া আরেকজন সাবেক সৈন্য আছেন। তবে ডেভিডের সমস্যাটা তার মতে সবচেয়ে গুরুতর। সারোগেট যৌনসঙ্গী হিসেবে কাজ করলেও সেরাফিনার নিজের বয়ফ্রেণ্ড ছিল, এবং তিনি সেরাফিনার কাজের ব্যাপারটা মেনেও নিয়েছিলেন। তবে অন্য কিছু নারী ও পুরুষের কথা সেরাফিনা জানেন - যারা তাদের নিজেদের পার্টনারের কারণে বা বিয়ে করার জন্য সারোগেটের কাজ করা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার মক্কেলদের বিদায় জানানোটা কখনো কখনো বেশ কঠিন হতে পারে। \"তবে পরে আমি যখন শুনি যে তাদের কেউ একটা সম্পর্কে জড়িয়েছে, বা তাদের সন্তান হয়েছে, বা বিয়ে করেছে - তখন আমার একটা অকল্পনীয় আনন্দ হয়, আমার এই কাজ করাটাকে ধন্য মনে হয়।\" রোনিট আলোনি মনে করেন, একজন মানুষের ভেতরের আত্মমর্যাদাবোধ এবং পুরুষ বা নারী হিসেবে তার যে সত্তা - তাকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে কারো পুনর্বাসন সম্ভব নয়। \"যৌনতাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী - আমাদের ব্যক্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু। আর এটা এমন কিছু যা আমাদের ও অন্যদের মধ্যে ঘটতে হয়, যা শুধু কথা বলার বিষয় নয়,\" - বলেন আলোনি। আলোনি আরো মনে করেন, আধুনিক সমাজে যৌনতার ব্যাপারে অস্বাস্থ্যকর দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হয়েছে। \"আমরা যৌনতা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করি, অন্যদের অপমান করি, কেউ অতি উগ্র, আবার কেউ বা অতি রক্ষণশীল হয়ে উঠি।\" \"এটা কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না - যেভাবে এটা আমাদের জীবনে জড়িয়ে থাকার কথা। কিন্তু যৌনতা হচ্ছে জীবন, এর মাধ্যমেই নতুন জীবন আসে, - এটাই প্রকৃতি।\" (ছবিগুলো এঁকেছেন ক্যাটি হরিচ)", "doc2": "La salle de consultation de Tel Aviv de la sexologue israélienne Ronit Aloni ressemble à ce que l'on peut attendre. Il y a un petit canapé confortable pour ses clients et des diagrammes biologiques des organes génitaux masculins et féminins, qu'elle utilise pour ses explications. Mais ce qui se passe dans la pièce voisine, équipée d'un canapé-lit et de bougies, est plus surprenant. A ne pas manquer sur BBC Afrique : C'est là que des partenaires de substitution rémunérés aident à enseigner à certains des clients d'Aloni comment avoir des relations intimes et, finalement, comment avoir des rapports sexuels. \"Cela ne ressemble pas à un hôtel - cela ressemble plus à une maison, à un appartement\", explique Aloni. Il y a un lit, un lecteur de CD, une douche attenante - et des œuvres d'art érotiques ornent les murs. \"La thérapie sexuelle est, à bien des égards, une thérapie de couple et si quelqu'un n'a pas de partenaire, le processus ne peut pas être mené à son terme\", poursuit-elle. \"Le substitut - elle ou il - est là pour modéliser le rôle du partenaire dans un couple\". Bien que les critiques assimilent cette pratique à de la prostitution, en Israël, elle est devenue acceptée au point que l'État prend en charge les frais des soldats dont les blessures affectent leur capacité à avoir des relations sexuelles. \"Les gens ont besoin de sentir qu'ils peuvent donner du plaisir à quelqu'un d'autre et qu'ils peuvent obtenir du plaisir de quelqu'un d'autre\", déclare Aloni, qui a un doctorat en réhabilitation sexuelle. \"Les gens viennent pour une thérapie. Ils ne viennent pas pour le plaisir. Il n'y a rien de semblable à la prostitution\", ajoute-t-elle fermement. \"De plus, 85 % des séances portent sur l'intimité, le toucher, le don et la réception, la communication - il s'agit d'apprendre à être une personne et à entrer en relation avec d'autres personnes. Au moment où vous avez une relation sexuelle, c'est la fin du processus.\" M. A, comme il veut être connu, est l'un des premiers soldats à avoir obtenu du ministère israélien de la défense qu'il finance une thérapie par substitution sexuelle après un accident qui a changé sa vie il y a près de 30 ans, alors qu'il était réserviste. Une chute en hauteur l'a laissé paralysé à partir de la taille et incapable d'avoir des relations sexuelles comme il l'avait fait auparavant. \"Quand j'ai été blessé, j'ai fait une liste de choses à faire\", dit-il. \"Je dois [être capable] de prendre une douche tout seul, de manger, de m'habiller tout seul, de conduire tout seul et d'avoir des rapports sexuels de manière indépendante\". Monsieur A était déjà marié et avait des enfants, mais sa femme ne se sentait pas à l'aise pour parler de sexe avec des médecins ou des thérapeutes, elle l'a donc encouragé à demander de l'aide à Aloni. Il explique comment Aloni lui a donné des indications et un retour d'information à lui et à son partenaire de substitution avant et après chaque séance. \"Vous commencez par le début : vous touchez ceci, vous touchez cela, puis vous progressez pas à pas jusqu'à la dernière étape, l'orgasme\", explique-t-il. M. A soutient qu'il était juste que l'État paie ses séances hebdomadaires, comme il l'a fait pour d'autres parties de sa rééducation. Aujourd'hui, le coût d'un programme de traitement de trois mois est de 5 400 dollars (2 949 706 FCFA). \"Ce n'était pas le but de ma vie d'aller chez un substitut, d'accord, j'étais blessé et je voulais me réhabiliter dans tous les aspects de ma vie\", dit-il, assis dans son fauteuil roulant, en survêtement, en route pour jouer au tennis de table. \"Je ne suis pas tombé amoureux de la femme qui m'a servi de substitut. J'étais marié. C'était juste pour étudier la technique qui permet d'atteindre le but. J'ai pris ça comme une chose très logique que je devais faire\". Il rejette la responsabilité des idées fausses sur le sexe sur les Occidentaux. \"Le sexe fait partie de la vie, c'est la satisfaction de la vie\", dit-il. \"Ce n'est pas que je fais le Casanova, ce n'est pas ça le problème\". Un flux constant de personnes d'âges et de milieux différents rend visite à Aloni dans sa clinique discrète. Nombre d'entre elles ont du mal à avoir une relation amoureuse en raison de problèmes d'intimité ou d'anxiété, ou ont été victimes d'abus sexuels. D'autres souffrent de problèmes de santé physique et mentale. Depuis le début de sa carrière, Aloni s'est particulièrement intéressée aux clients handicapés. Plusieurs de ses proches parents étaient handicapés, notamment son père, pilote, qui a souffert d'une lésion cérébrale après un accident d'avion. \"Toute ma vie, j'ai côtoyé des personnes qui devaient faire face à différents handicaps et les surmonter\", dit-elle. \"Toutes ces personnes étaient très bien réhabilitées et j'avais donc cette approche très optimiste\". Pendant ses études à New York, Aloni s'est rapprochée d'un substitut qui travaillait avec des personnes handicapées. Lorsqu'elle est revenue en Israël à la fin des années 1980, elle a obtenu l'approbation des principaux rabbins pour le recours à des substituts sexuels et a commencé à dispenser une thérapie dans un centre de réadaptation situé dans un kibboutz religieux - une communauté rurale. Les rabbins n'avaient qu'une seule règle : aucun homme ou femme marié ne pouvait être mère porteuse, et Aloni l'a suivie depuis lors. Au fil du temps, elle a obtenu le soutien des autorités israéliennes. Sur les quelque 1 000 personnes qui ont bénéficié d'une thérapie sexuelle avec mère porteuse dans sa clinique, des dizaines sont des vétérans de l'armée blessés, dont beaucoup souffrent de traumatismes cérébraux ou de lésions de la moelle épinière, et dont le traitement a été financé par l'État. Aloni pense que la culture familiale d'Israël et son attitude envers les forces armées ont joué en sa faveur. À 18 ans, la plupart des Israéliens sont appelés au service militaire et ils peuvent continuer à servir comme soldats de réserve jusqu'à un âge moyen. \"Nous sommes en situation de guerre tout le temps depuis la création du pays\", dit-elle. \"Tout le monde en Israël connaît des gens qui ont été blessés, ou qui sont morts, et tout le monde a une approche positive pour indemniser ces personnes. Nous nous sentons obligés envers eux.\" Un grand homme d'environ 40 ans est assis dans son jardin, dans le centre d'Israël, une couverture sur les genoux. C'est un ancien soldat de réserve dont la vie a été brisée lors de la guerre du Liban en 2006. David - comme nous l'appellerons - est resté incapable de parler ou de bouger. Il ne peut communiquer qu'avec l'aide de son ergothérapeute - si elle soutient son bras et tient un stylo dans sa main, il peut écrire sur un tableau blanc. \"J'étais une personne ordinaire. Je revenais d'un voyage en Extrême-Orient. J'étudiais à l'université et je travaillais comme barman. J'aimais le sport et être avec mes amis\", raconte David. Lorsque son unité militaire a été attaquée, il a été gravement blessé à la jambe et à la tête et a passé trois ans à l'hôpital. Pendant cette période, il dit avoir perdu le goût de vivre. Les choses n'ont commencé à s'arranger que lorsque ses ergothérapeutes lui ont suggéré de suivre une thérapie par substitution sexuelle. \"Quand j'ai commencé la thérapie de substitution, je me sentais comme un loser, comme un moins que rien. Avec la thérapie. J'ai commencé à me sentir comme un homme, jeune et beau\", raconte David. BBC Africa Eye : Enlevées, trafiquées ou tuées, la vie de travailleuses du sexe en Sierra Leone \"C'était la première fois que je ressentais cela depuis ma blessure. Cela m'a donné de la force et de l'espoir.\" Il s'agissait d'une relation intime que David a entamée en sachant qu'elle devrait se terminer. Y avait-il donc un risque qu'il soit blessé émotionnellement ? \"Au départ, c'était difficile pour moi car je voulais la mère porteuse pour moi tout seul\", dit-il. \"Mais je me suis rendu compte que même si nous ne sommes pas partenaires, nous sommes toujours de bons amis. Et ça en vaut la peine. Ça vaut tout. Cela vous aide simplement à vous reconstruire à nouveau.\" Alors que les règles habituelles veulent que les mères porteuses et les clients ne puissent pas être en contact en dehors de la thérapie, David et sa mère porteuse - une femme qui utilise le pseudonyme de Seraphina - ont reçu une permission spéciale de la clinique du Dr Aloni pour rester en contact à la fin de leurs sessions. Depuis le traitement, les proches de David disent avoir constaté une transformation chez lui. Il s'est concentré sur ses projets d'avenir. Bien que sa vie sexuelle reste très difficile, avant que Covid-19 ne frappe, il avait commencé à se sociabiliser davantage, sortant avec l'aide de ses soignants. Seraphina a travaillé comme mère porteuse avec Ronit Aloni pendant plus de dix ans. Elle est mince, a les cheveux coupés au carré, est chaleureuse et s'exprime bien. Elle a récemment publié un livre sur ses expériences. Intitulé More than a Sex Surrogate, les éditeurs le décrivent comme \"un mémoire unique sur l'intimité, les secrets et la façon dont nous aimons\". Comme toutes les mères porteuses de la clinique de Tel Aviv, Seraphina a un autre travail. Le sien est dans le domaine de l'art. Elle dit avoir accepté son rôle pour des raisons altruistes. \"Je voulais vraiment aider tous ces gens qui souffrent sous [la surface] et qui ont tous ces secrets cachés avec lesquels ils se promènent, car je savais que j'en avais la capacité\", explique-t-elle. \"Je n'avais aucun problème avec l'idée d'utiliser la sexualité, mon corps ou le toucher dans le processus thérapeutique. Et le sujet me fascinait, la sexualité me fascinait.\" Seraphina se décrit comme \"une sorte de guide touristique\", disant qu'elle emmène ses clients dans un voyage dont elle connaît le chemin. Elle a travaillé avec une quarantaine de clients, dont un autre soldat, mais dit que la gravité des blessures de David a posé un défi unique. Elle a appris à l'aider à écrire pour qu'ils puissent discuter en privé. \"David est le cas le plus extrême jamais connu. C'était comme marcher dans un désert - vous n'aviez aucune idée de la direction [dans laquelle] aller\", dit-elle. \"J'ai dû être très, très créative parce qu'il ne bouge pas du tout. J'ai déplacé son corps comme j'imaginais qu'il l'aurait fait s'il avait pu. Il sentait son corps mais ne pouvait pas le bouger. \"Il disait toujours : 'Elle sait exactement ce que je veux, même si je ne dis rien'. Donc, c'était vraiment flatteur.\" Tout en étant mère porteuse, Seraphina a eu des petits amis qui, dit-elle, acceptent ce qu'elle fait. Mais elle connaît d'autres femmes et hommes qui ont cessé d'agir en tant que mères porteuses pour le bien de leurs partenaires personnels ou pour se marier. Elle explique que dire au revoir à ses clients après une relation intime est nécessaire mais peut être difficile. \"Je dis que c'est comme partir en vacances. Nous avons l'occasion d'avoir une relation merveilleuse pendant un certain temps et nous devons la saisir ou l'abandonner. \"Et c'est la rupture la plus heureuse que l'on puisse avoir. C'est pour de bonnes raisons. Je peux pleurer parfois, mais en même temps, je suis tellement heureuse. \"Quand j'entends que quelqu'un est en couple, a eu un bébé ou s'est marié, c'est inimaginable à quel point je suis heureuse, ravie et reconnaissante pour ce que je fais.\" Tard dans la soirée, Ronit Aloni est encore au travail, donnant une conférence en ligne à un groupe de sexologues d'Europe et d'Amérique du Sud. Elle raconte des cas et cite des études suggérant que la gestation pour autrui est plus efficace que la thérapie psychologique classique pour traiter les problèmes sexuels. \"C'est très intéressant, les thérapeutes qui ont déjà travaillé avec des substituts ont tous dit qu'ils le referaient\", leur dit-elle. La chirurgie moderne aidant les soldats plus gravement blessés à survivre, elle pense que le traitement par substitution pourrait être utilisé plus largement. \"Vous ne pouvez pas réhabiliter une personne sans réhabiliter son estime de soi, sa perception d'être un homme ou une femme\", dit-elle. \"Vous ne pouvez pas ignorer cette partie de notre vie. Elle est très importante, puissante. C'est le centre de notre personnalité. Et on ne peut pas se contenter d'en parler. La sexualité est quelque chose de dynamique, c'est quelque chose qui doit être entre nous et les autres personnes.\" Selon Aloni, la société moderne a développé des attitudes malsaines envers le sexe. \"Nous savons comment plaisanter sur la sexualité. Nous savons comment humilier les gens, nous savons être très conservateurs ou trop extrêmes sur la sexualité\", dit-elle. \"Ce n'est jamais vraiment équilibré. Elle n'est jamais intégrée à notre vie comme elle est censée l'être, et la sexualité, c'est la vie. C'est ainsi que nous apportons la vie. C'est la nature !\" Illustrations par Katie Horwich Vous pouvez également être intéressé par : Des agents humanitaires sont accusés d'abus sexuels sur des femmes syriennes."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47962897", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47989749", "doc1": "ইতিবাচক বৈষম্যও নয় বরং দরকার মেধা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ণ করা এটি 'হোয়াই সো মেনি ইনকমপিটেন্ট মেন বিকাম লিডারস' বইয়ের লেখক ও মনোবিদ ড: টমাস চামোরো পিরেমুজিক এর মন্তব্য। নারীদের জন্য নেতৃত্ব পর্যায়ের পদগুলোতে উঠে আসা কেন কঠিন তা নিয়েও মি: টমাস তাঁর বইয়ে অনেক যুক্তি-তর্ক দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি: সমাজে আমরা পুরুষদের দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্যতাকে দেখতে ভালোবাসি কারণ এর জন্য তাদেরকেই আমরা পুরস্কৃত করতে চাই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যেভাবে শপথ নিয়েছিল ১৯৭১'এর মুজিবনগর সরকার টিকটক অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেয়া হলো বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে? অযোগ্যতাই জয়ী হয় কেন ? মি: টমাস বলছেন, রাজনীতি বা ব্যবসায় নেতা পছন্দ করার ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনাযোগ্য দায়িত্বশীলতার মুখোমুখি হই কিন্তু আমরা তাদের নির্বাচন করি -কিন্তু সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠান বা দেশের জন্য ভালো না মন্দ তা যাচাই করা হয় না। \"আমরা সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকে না যা দিয়ে বুঝা যায় যে এসব নেতারা ভালো করবেন কি-না। পরিণামে তাদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা আছে কি-না সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে আমরা স্টাইল বা এমন বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেই\"। তাঁর মতে, \"আমরা যোগ্যতার চেয়ে আত্মবিশ্বাসের ওপর বেশি দৃষ্টি দেই এবং প্রায় সময়েই আমরা জব ইন্টারভি��� বা টেলিভিশন বিতর্কের মতো অল্প সময়ের আলাপচারিতার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।\" দ্বিতীয়ত: বিনয়ের চেয়ে ক্যারিশমা গুরুত্ব পায় বেশি। তৃতীয়ত: নেতাদের আমরা স্বার্থপরের মতো এমনভাবে মানতে শুরু করি যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। একই ভুল বারবার করার কারণ ও ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচন করা। 'সম্ভবত আমরা আসলে সেরা ব্যক্তিকেই চাকুরীতে দেখতে চাই না' বলছেন মনোবিদ মি: টমাস। তাঁর মতে. অনেক সময় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্য ঠিক করে। তাদের মন্তব্য থাকে 'এই ব্যক্তি সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারবে'। \"প্রতিটি সংগঠন বা ব্যবসায় নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের কাজের মূল্যায়ন হওয়া উচিত এভাবে যে তারা অধীনস্থদের বা টিমকে কতটা প্রভাবিত করতে পেরেছেন\"। বলুন তো বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কে প্রমোশন পাবেন? চক্র ভাঙ্গা যায় কিভাবে? কোম্পানি বা ডেমোক্রেসি- অযোগ্য নেতাদের সরানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাতলে দিয়েছেন লেখক ও মনোবিদ ড: টমাস চামোরো পিরেমুজিক। ১. ভোটে হোক আর হায়ার করে আনা হোক, কয়েকটি বিষয় যত্ন সহকারে বিবেচনা করতে হবে। যেমন- যোগ্যতা, দক্ষতা, বিনয়, আত্ম সচেতনতা, সততা ও শেখার ক্ষমতা। ২. ধারণা নয় বরং তথ্য উপাত্তের ওপর নির্ভর করা। ৩. লিঙ্গ বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে লিঙ্গকে নয় বরং মেধাকে গুরুত্ব দেয়া। ভালো নেতা হতে ভালো দক্ষতা অর্জন দরকার নারীরাই কি সমস্যার সমাধান ? \"সমাধান হয়তো নারী নন বরং সমাধান হলো মেধা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়নে সিরিয়াস হওয়া\" বলছেন এই মনোবিদ। \"একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিলে সেটি নারীদের জন্য বাধা তৈরি করবে না বরং পুরুষের চেয়ে নারীরাই তখন নেতৃত্বে বেশি উঠে আসবে।\"", "doc2": "Je suis le roi du monde ! Même si c'est moi-même qui le dis. Et dans son livre, il soutient que c'est peut-être l'une des raisons pour lesquelles il est difficile pour les femmes d'accéder à des postes de direction. A un moment donné, l'on se concentre plus sur ce que ces hommes charismatiques semblent apporter, plutôt que sur leur capacité réelle à diriger, explique Chamorro-Premuzic. Lire aussi : Serena Williams contre l’inégalité salariale Ces designs qui ignorent les femmes Pourquoi l'incompétence prend le dessus De bonnes \"compétences interpersonnelles\" sont essentielles pour être un bon leader - quelque chose que l'on oublie souvent. \"Lorsque nous choisissons un dirigeant politique ou économique, nous sommes confrontés à une responsabilité considérable, mais de manière incompréhensible, nous sélectionnons ces personnes sans tester ou vérifier si nos choix sont bons pour nous, pour notre organisation ou même pour le pays dont on leur a confié la responsabilité\", dit Chamorro-Premuzic. \"Nous prenons des décisions, ajoute Chamorro-Premuzic, mais nous manquons de données pour voir si ces leaders sont performants ou non. En conséquence, nous nous fixons beaucoup plus sur leur style et ce qu'ils semblent apporter, plutôt que sur leur capacité réelle à diriger.\" Lire aussi : Comment les tâches domestiques ont transformé un homme violent L'humilité négligée, le charisme récompensé Tout d'abord, \"nous nous concentrons trop sur la confiance et trop peu sur les compétences\", dit le Dr Tomas Chamorro-Premuzic. \"Nous prenons souvent notre décision sur la base d'une interaction à court terme, telle qu'un entretien d'embauche ou un débat télévisé [en politique].\" Deuxièmement, ajoute-t-il, \"nous nous concentrons beaucoup sur le charisme, et pas assez sur l'humilité\". D'après Tomas Chamorro-Premuzic, les dirigeants disent être favorables à l'humilité, mais en fin de compte, ils préfèrent les leaders qui sont drôles et charmants, amusants et charismatiques. Comment alors s'assurer que les leaders choisis sont de bons individus qui vont donner de bons résultats ? Diriez-vous \"non\" à cette personne très confiante ? Troisièmement, et c'est peut-être le plus inquiétant, Tomas Chamorro-Premuzic dit que les êtres humains adorons les leaders aux tendances narcissiques. Quand quelqu'un semble très égocentrique et intéressé à faire avancer son propre agenda personnel - ou est vaniteux et se fait un peu d'illusions - au lieu de l'exclure, on se dit : \"Wow, ce type doit être un bon leader\". Selon les données recueillies par diverses études de personnalité, au fil des décennies et dans le monde entier, les trois descriptions mentionnées ci-dessus sont plus courantes chez les hommes que chez les femmes. \"Et cela explique la prévalence des mauvais leaders et des leaders masculins\", explique le Dr Tomas Chamorro-Premuzic. Lire aussi : Les libertés à la poubelle : la casserole Pourquoi répétons-nous les mêmes erreurs et choisissons la mauvaise personne ? Devinez qui sera le premier à être promu à la tête du département ? \"Peut-être que nous ne voulons pas vraiment la meilleure personne pour le poste, après tout\", dit Chamorro-Premuzic. \"Nous le voulons en théorie, bien sûr - mais où sont les preuves pour cela ?\" Tomas Chamorro-Premuzic affirme que \"la plupart du temps, les ressources humaines se concentrent sur les mêmes objectifs à court terme que les autres cadres de l'entreprise\" en ces termes : \"cette personne fera bonne figure\", \"cette personne résoudra ce problème rapidement\", ou même \"cette personne n'exigera pas que l'organisation change...\" Lire aussi : Les libertés à la poubelle : Rouge à lèvres \"Dans chaque organisation ou entreprise, les dirigeants doivent être évalués en fonction de l'impact qu'ils auront sur leurs équipes et leurs subordonnés - et pourtant, ils sont mesurés et promus en fonction de leur façon de gérer avec la direction\", souligne Tomas Chamorro-Premuzic. Comment briser le cycle ? N'oubliez pas que la compétence doit venir avant la confiance : le joueur de tennis Roger Federer \"ne gagne pas des tournois parce qu'il est un homme ou qu'il est très confiant, mais parce qu'il a un talent exceptionnel\". Il y a trois étapes clés que toute entreprise doit suivre si elle veut en finir avec les dirigeants incompétents, dit Chamorro-Premuzic. 1. Qu'il s'agisse d'embauche ou de vote, observez attentivement tous les signes et recherchez les qualités qui font les bons leaders. Les traits que vous recherchez sont : - la compétence - les aptitudes interpersonnelles - l'humilité - la conscience de soi - l'intégrité - la curiosité et la capacité d'apprentissage. Lire aussi : Kidjo: \"les Africains sont des machos\" 2. Nous devons apprendre à nous méfier de notre instinct. Oubliez votre intuition ou vos instincts et tournez plutôt vers les données, les chiffres. Dans la mesure du possible, recherchez des faits bruts et concrets, comme des résultats d'évaluation prédictifs, des résultats de tests psychométriques ou des preuves de rendement fondés sur l'efficacité réelle du leadership et non sur la capacité d'une personne à faire de la politique de bureau. \"Les organisations ont des tonnes de données, dit Tomas , mais la plupart du temps, elles ne les utilisent pas et choisissent des candidats qu'elles préfèrent\". 3. Abordez la diversité des genres, et vous aurez résolu un gros problème - mais Tomas critique la discrimination positive en soi : \"La plupart de ces interventions échouent parce qu'elles se concentrent sur le genre, et non sur le talent.\" Si vous voulez trouver une solution, proposez une approche qui n' \"abaisse pas la barre pour les femmes qui sont déjà compétentes, afin qu'elles puissent devenir des leaders. Au lieu de cela, placez la barre plus haut pour les hommes qui sont incompétents \", dit Tomas Chamorro-Premuzic. Les femmes sont-elles la solution ? L'objectif devrait être le talent et le potentiel, et non la discrimination positive, dit Tomas Chamorro-Premuzic. \"La solution, ce n'est pas les femmes. La solution, c'est de prendre au sérieux l'évaluation des talents et du potentiel\", recommande Chamorro-Premuzic. Si une organisation a pour cible le talent et le potentiel, \"elle ne se retrouvera pas seulement avec plus de femmes à des postes de direction, mais plus de femmes que d'hommes à des postes de direction\". Dr Tomas Chamorro-Premuzic est un psychologue des organisations. Tomas Chamorro-Premuzic dit que, selon les données disponibles, \"les femmes surpassent légèrement les hommes en ce qui concerne des caractéristiques telles que l'humilité, l'aptitude à l'encadrement, la conscience de soi, les aptitudes relationnelles et, surtout, les compétences. Dans la plupart des pays développés, les femmes réussissent mieux que les hommes à l'université, même dans les MBA\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51247102", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51303427", "doc1": "উহানে হাসপাতাল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং কর্মীরা আশা করছেন যে ছয় দিনে এটি শেষ হবে। বর্তমানে দেশটিতে ১২শর বেশি মানুষে এতে আক্রান্ত রয়েছে এবং ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংক্রমণ শুরু হয় উহান শহরে যেখানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস। শহরটির হাসপাতালগুলোতে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের উপচে পড়া ভীর এবং ফার্মেসিগুলোতে ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, নতুন হাসপাতালে এক হাজার শয্যা থাকবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অনলাইনে যে ভিডিও পোস্ট করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, খনন যন্ত্র এরইমধ্যে ওই স্থানে পৌঁছে গেছে। পুরো এলাকাটি ২৫ হাজার বর্গমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করতে স্থাপিত আরেকটি হাসপাতালের আদলে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে। \"এটা মূলত রোগ-অন্তরণ বা রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য একটি হাসপাতাল যেখানে সংক্রমণের শিকার রোগীদের পাঠানো হবে যেখানে সুরক্ষা এবং জীবাণু প্রতিরোধী সরঞ্জাম থাকবে,\" বলেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গ্লোবাল হেলথ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক জোয়ান কাউফম্যান। চীন ছয়দিনে কিভাবে হাসপাতাল বানাবে? ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করতে স্থাপিত আরেকটি হাসপাতালের আদলে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে। \"চীনের সাধারণত খুব দ্রুত জিনিসপত্র তৈরির রেকর্ড রয়েছে এমনকি এ ধরণের বিশাল বিশাল প্রকল্পের ক্ষেত্রেও,\" বলেন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের গ্লোবাল হেলথ এর জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়াংঝং হুয়াং। তিনি বলেন যে, ২০০৩ সালে বেইজিংয়ের হাসপাতালটি সাত দিনে তৈরি করা হয়েছিল। তাই এবার মনে হচ্ছে নির্মাণকারী দলটি সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে। বেইজিংয়ের হাসপাতালের মতোই, উহান সেন্টারটিও আগে থেকেই নির্মিত ভবনে তৈরি করা হবে। \"এই কর্তৃত্ববাদী দেশটি শীর্ষ থেকে নিচে বা টপ-ডাউন মোবিলাইজেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। যার কারণে তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তাদের সব পুঁজি নির্দিষ্ট দিকে নিয়োগ করতে পারে।\" মিস্টার হুয়াং বলেন, ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে সারা দেশ থেকে প্রকৌশলীদের এখানে নিয়ে আসা হতে পারে। \"প্রকৌশলই হচ্ছে সেই কাজ যাতে চীন খুবই ভাল। দ্রুত গতিতে আকাশচুম্বী ভবন তৈরির রেকর্ড রয়েছে তাদের। এটা পশ্চিমাদের জন্য চিন্তা করাটাই কঠিন। এটা সম্ভব,\" তিনি বলেন। আর চিকিৎসা সরঞ্জামাদির কথা বলতে গেলে, উহান সেগুলো অন্য হাসপাতাল থেকে আনতে পারে কিংবা সরাসরি কারখানা থেকেও অর্ডার করতে পারে। আরো পড়তে পারেন: সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? ভাইরাস আতঙ্কে অবরুদ্ধ একের পর এক চীনা শহর মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী এর আগে ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সাত দিনে একটি হাসপাতাল বানিয়েছিল চীন। শুক্রবার, গ্লোবাল টাইমস জানায়, পিপলস লিবারেশন আর্মি থেকে ১৫০ জন চিকিৎসাকর্মী উহানে পৌঁছেছে। তবে নতুন হাসপাতাল তৈরির পর তারা সেখানে কাজ করবে কিনা সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। সার্স মহামারির সময় কী ঘটেছিল? ২০০৩ সালে সার্সের উপসর্গে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেইজিংয়ে শিয়াওটাংশান হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটা তৈরি করা হয়েছিল সাত দিনে, যা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত হাসপাতাল তৈরির রেকর্ড ভেঙ্গেছিল বলে ধারণা করা হয়। চায়না ডট কম ডট সিএন জানায়, ঠিক সময়ে কাজ শেষ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার মানুষ দিন রাত কাজ করেছিল। এরমধ্যে একটি এক্স-রে কক্ষ, সিটি কক্ষ, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিট এবং ল্যাবরেটরি রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা পায়খানা ছিল। দুই মাসের মধ্যে সেখানে দেশটিতে সার্স আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক-সপ্তমাংশকে ভর্তি করা হয়েছিল যাকে দেশটির সংবাদ মাধ্যম \"চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিস্ময়কর ঘটনা\" বলে উল্লেখ করেছিল। সার্সে আক্রান্তের পর চিকিৎসা নিয়ে সবার শেষ শিয়াংটাংশান হাসপাতাল ছাড়েন এক নারী মিস কাউফম্যান বলেন: \"স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসকদের দেশটির অন্য হাসপাতালগুলো থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই হাসপাতালে কাজ করতে। তাদেরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যেখানে কিভাবে সংক্রামক রোগ মোকাবেলা করতে হবে এবং সার্স সনাক্���করণ এবং সেগুলোকে আলাদা করার কঠোর ও নির্দিষ্ট উপায় উল্লেখ করা হয়েছিল।\" তিনি বলেন যে, সার্স মহামারির সময় ব্যয়ভার স্থানীয়ভাবে মেটানো হলেও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেও প্রচুর পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল যা দিয়ে কর্মকর্তাদের বেতন ও নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়। \"আমার মনে হয় না যে এর ব্যয়ভার উহান সরকারের উপর পড়বে কারণ এটা এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে,\" বলেন মিস কাউফম্যান। মিস্টার হুয়াংয়ের মতে, হাসপাতালটি \"মহামারি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে চুপিসারে পরিত্যাগ করা হয়েছিল।\"", "doc2": "Il s'agit de l'un des deux établissements construits à Wuhan uniquement pour répondre au coronavirus. Pour être aussi rapide, le pays utilise la préfabrication, une technique de construction qui consiste à fabriquer à l'écart de l'ouvrage les éléments constitutifs, puis à les assembler sur le site de l'ouvrage pour le former. Autres sujets santé sur BBC Afrique: Un cas suspect de Coronavirus mis en quarantaine au Kenya Kenya: vers une couverture de santé universelle Des exercices réguliers boostent la santé mentale"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55071194", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55063886", "doc1": "ইরিনা কুযেমকো, লিয়া আর অলগা অনিপকো- এরা জন্মেছিলেন উভলিঙ্গ শিশু হিসাবে। তাদের প্রত্যেকের সমস্যা ছিল আলাদা। বিশ্বে ইরিনার মত অনেক শিশু জন্ম নেয়, যারা প্রাকৃতিক নিয়মে ছেলে বা মেয়ে হয়ে জন্মায় না। শিশু অবস্থায় তাদের লিঙ্গ ঠিক করে দেয়া হয় বিতর্কিত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। এই ইন্টারসেক্স বা উভলিঙ্গ মানুষ একইসাথে নারী ও পুরুষের শারীরিক বিশেষত্ব বা অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এদের মধ্যে চল্লিশটিরও বেশি ধরনের মিশ্র বিশেষত্বের খোঁজ পেয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কারো হরমোনের মাত্রায় তারতম্য থাকে, ফলে হরমোনের মাত্রা ভেদে সে পুরুষ না নারী সেটা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে না। কারো আবার শরীরের ভেতরে হয়ত নারীর প্রজনন অঙ্গগুলো থাকে, কিন্তু শরীরের বাইরে থাকে পুরুষের যৌনাঙ্গ। এধরনের উভলিঙ্গ মানুষ মানসিকভাবে খুবই বিপর্যয়ের মধ্যে থাকেন, কারণ তারা প্রাকৃতিক নিয়মে তাদের আসল পরিচয় কী, সেটা খোঁজা তাদের জন্য খুবই কষ্টের একটা প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে। দেখা গেছে শিশু বয়সে অস্ত্রোপচার করে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেবার পর প্রাপ্ত বয়সে এসে সে হয়ত বিশাল দোটানায় ভুগছে যে আসলে তার লিঙ্গ সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়েছিল কীনা। চিকিৎসকরা বলছেন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কারো লিঙ্গ নির্ধারণ করার বিষয়টাকে তারা কখনই হালকাভাবে নেন না। তারা শিশুর জেনেটিক পরীক্ষা করেন। তারপর একাধিক চিকিৎসক ও জেনেটিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বাপমায়ের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই এসব অপরাশেন করা হয়ে থাকে। তবে উভলিঙ্গদের নিয়ে যারা কাজ করেন তারা মনে করেন, শিশু বয়সে শারীরিক কারণে প্রয়োজন না হলে এধরনের অস্ত্রোপচার না করানোই উচিত। কারণ ঐ শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর সে নিজে কী হতে চায় সে সম্পর্কে সে যদি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে তার মানসিক বিপর্যয় হয়ত কিছুটা কম হতে পারে। উভলিঙ্গ শিশু হয়ে জন্মানো ও পরে নারী হিসাবে বড় হয়ে ওঠা তিনজন বিবিসিকে বলেছেন তাদের কঠিন মানসিক লড়াই আর কীভাবে তারা বিষয়টা মানিয়ে নিয়েছিলেন তার কাহিনি। ইরিনা কুযেমকো, ২৭, ইন্টারসেক্স অধিকার কর্মী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনর আগে পর্যন্ত আমি মেয়ে হিসাবেই বড় হয়েছি। আমার বান্ধবীদের সবার মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হলেও আমার হয়নি। ক্লাসের সব মেয়ে যেভাবে বেড়ে উঠেছে, আমি উঠিনি। ক্লাসে আমিই ছিলাম একমাত্র মেয়ে যার স্তন গড়ে ওঠেনি। একদিন শিক্ষিকা আমাদের ক্লাসে মেয়েদের বেড়ে ওঠা নিয়ে একটা ভিডিও দেখাচ্ছিলেন। আমার জন্য সেটা খুবই কষ্টের অভিজ্ঞতা ছিল। ছবিতে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল সবাই সেভাবে বেড়ে উঠেছে। আমি ছাড়া। ইরিনা যখন বড় হয়ে উঠছেন তিনি জানতেন না তিনি উভলিঙ্গ। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু আমি যে আর পাঁচটা মেয়ের মত নই তা নিয়ে আমার মা এবং নানীর কোন মাথাব্যথা ছিল না। তারা বলতেন: \"ওটা কোন সমস্যা নয়- সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।\" কিন্তু আমার বয়স যখন ১৪ হল, আমি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আমাকে নিয়ে যাবার জন্য তাদের জোর করতে লাগলাম। ডাক্তার বললেন আমার ডিম্বাশয়গুলো কাজ করছে না। তিনি কিছু চিকিৎসা দিলেন। বেশ কয়েকমাস গেল- চিকিৎসায় কাজ হল না। আমার মনের ওপর চাপ বাড়তে লাগল। আমার ১৫ বছর হলে বাবা আমাকে ডাক্তার দেখাতে মস্কোয় নিয়ে গেলেন। ডাক্তাররা আমাকে কিছুই বললেন না। শুধু বাবা বললেন আমাকে একটা কি দুটো ছোট অপারেশন করাতে হবে। স্কুলে বান্ধবীরা অনেক প্রশ্ন করেছিল। আমিও কিছুই জানতাম না- কিছুই বলতে পারিনি। পরে আরও বড় হয়ে বাবাকে একবার যখন কথা প্রসঙ্গে বললাম, ডাক্তারের উচিত ছিল আমার শরীরের ভেতর থেকে অকেজো অঙ্গগুলো বাদ দেয়া, বাবা উত্তর দিলেন: \"তোমার শরীর থেকে সবই তো কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে।\" আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার নিজের ওপর প্রচণ্ড রাগ আর ঘৃণা তৈরি হল। ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে জানলাম আমার মত কাহিনি আরও মানুষের আছে। আমরা উভলিঙ্গ- ইন্টারসেক্স। আমি আমার চিকিৎসার কাগজপত্র খুঁজে বের করে মস্কোর এক ডাক্তারকে ফোন করলাম। আমার মা পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। আমার ভয় করছিল - কী শুনব! সেই ২২ বছর বয়সে এসে আমি প্রথম জানতে পারলাম, সাত বছর আগে আমার কী ঘটেছিল। আমার শরীরে অণ্ডকোষ ছিল, সেটা কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। ডিম্বাশয়ের অংশও ফেলে দেয়া হয়েছে। আমি তখন থেকে হরমোন খাচ্ছি। ইরিনার মনে হয়, তার চিকিৎসক এবং তার বাবা বিষয়টা তাকে খুলে বললে ভাল হতো আরও জানলাম আমার শরীরে একই সাথে পুরুষ ও নারীর বৈশিষ্ট্যবাহী ক্রোমোজোম ছিল। আমার জরায়ু ছিল। আমি বাবাকে গিয়ে সোজাসুজি বললাম আমাকে কিছু বলোনি কেন? বাবা বললেন দুজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে তিনি কথা বলেছিলেন। তারা আমাকে কিছু না জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। বাবার ধারণা তিনি কোন ভুল করেননি। আমি তারপর থেকে বাবার সাথে আর কথা বলিনি। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে বেঁচে থাকব সেকথা ভাবতাম। কিন্তু পরে খুব দ্রুত ব্যাপারটা মেনে নিতে পেরেছিলাম, যখন জানলাম আমার মত উভলিঙ্গ মানুষ আরও আছে। আগে মনে হতো সমস্যাটা আমার একার। পরে জানলাম একই শরীরে নারী ও পুরুষ অঙ্গ নিয়ে অনেক মানুষ শান্তিতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তখন থেকে আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেল। তখন থেকে আমি ঠিক করলাম আমি আমার মত শিশু কিশোরদের পাশে দাঁড়াব। আমার যেভাবে দু:সহ শৈশব ও কৈশোর কেটেছে, অন্যদের যাতে একই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয় সেটা আমি করব। চিকিৎসকের মতামত: জুলিয়া সিদোরোভা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ \"আমার মতে শিশুর অস্ত্রোপচার তখনই করা উচিত যখন এটা তার জীবন সংশয়ের কারণ হয়। বাইরে থেকে কী দেখা যাচ্ছে সেটা নিয়েই মানুষের মধ্যে বেশি উদ্বেগ দেখা যায়, ফলে শিশু বয়সে যৌনাঙ্গে অস্ত্রেপচারের একটা প্রবণতা থাকে। এধরনের একটা মেয়ে বাচ্চার যৌনাঙ্গ পুরুষের মত হলেই অপারেশনের একটা তাগিদ অনুভব করেন শিশুর বাবামা। এটা সামাজিকভাবে উদ্বেগের বা লজ্জার বিষয় হতে পারে, কিন্তু শিশুর প্রাণ সংশয়ের কোন কারণ এতে থাকে না। কিন্তু যদি এর ফলে শিশুর প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই অপারেশন করানো যুক্তিসঙ্গত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা জরুরি হবে।\" অস্ত্রোপচারের বিষয়টার জন্য অপেক্ষা করা অনেকসময়ই ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুর সাথে লুকোচুরি না করে তাকে খোলামেলা সবকিছু জানিয়ে তার মতামত নিয়ে অপারেশন করালে সেটা তাকে ভবিষ্যতে মানসিক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারে। অপারেশনের পর অনেক সময়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। স্পর্শের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, বন্ধ্যাত্ব তৈরি হতে পারে, সবসময় ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘদিন হরমোন চিকিৎসায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। একটা জিনিস মনে রাখা কিন্তু জরুরি। উভলিঙ্গদের সাথে যৌন অভিরুচির বিষয়টা গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তারা সাধারণ মানুষের মতই। তাদের নির্দিষ্ট কোন যৌন পরিচয় নেই। তারা প্রত্যেকে আলাদা। এদের অনেকেরই পরিবার আছে, সংসার আছে, সন্তান আছে। তবে অনেকের হয়ত ক্রোমোজোমের তারতম্যের কারণে সন্তান হতে পারে না। এদের প্রত্যেকের সমস্যা আলাদা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে জন্মের সময় দেখা যায় তার শরীরে নারী ও পুরুষের অঙ্গ বা বৈশিষ্ট্য মেশানো আছে। আবার অনেকে পুরো স্বাভাবিকভাবে জন্মানোর পর সে যে উভলিঙ্গের সেটা বয়ঃসন্ধির সময় প্রকাশ পায়। ইরিনা মনে করেন উভলিঙ্গ মানুষদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ হওয়া উচিত। এখন আমার সহপাঠী, শিক্ষক ও বন্ধুরা কিন্তু আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। মানুষও আমাকে ভিন্ন চোখে দেখে না। ভালবাসে। আমিও বিষয়টা বোঝার এবং মেনে নেবার পর থেকে মানসিকভাবে অনেক স্বস্তি ও সুখী বোধ করেছি। আরও পড়তে পারেন: লিয়া (নাম বদলে দেয়া হয়েছে) আমার কাহিনির শুরু মেটারনিটি হাসপাতালে। ডাক্তাররা আমার মাকে বলেছিলেন আমার যৌনাঙ্গ অপরিণত। নারী বা পুরুষ কোনটার মতই দেখতে নয়। \"আপনি ছেলের না মেয়ের জন্ম দিয়েছেন- কী মনে হচ্ছে আপনার?\" আমার মাকে ওরা জিজ্ঞেস করেছিল। মা ঠিক করলেন আমাকে মেয়ে সন্তান হিসাবে রেজিস্ট্রিভুক্ত করবেন। ডাক্তারদের এটা ছিল প্রথম ভুল। তাদের উচিত হয়নি পুরো দায়িত্বটা আমার মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া। ফলে আমি বড় হচ্ছিলাম মেয়ে হিসাবে। স্কুলে ভর্তি হবার আগে মা আমাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলেন। শিশু ক্লিনিকের ডাক্তার মাকে বললেন: \"আপনি কি পাগল? এতো আপনার ছেলে শিশু!\" অন্য ডাক্তাররাও নিশ্চিত করলেন আমি ছেলে। নথিপত্রে আমার নাম বদলানো হল। আমি ছেলে হিসাবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। কিন্তু আমাদের কিন্ডারগার্টেনের বেশ কিছু বাচ্চা ওই ক্লাসে ছিল যারা জানতো আমি মেয়ে। ফলে মা স্কুল বদলে আমাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করলেন। তখনও পর্যন্ত আমার কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু দেখলাম বড়রা আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। তখন থেকে আমার কিছুটা মানসিক সমস্যা শুরু হলো। নিজের পরিচয় নিয়ে লিসাকে বছরের পর বছর লড়াই করতে হয়েছে আমি আমার লম্বা চুল কাটতে চাইতাম না। কিন্তু প্যান্ট আর ঢোলা জামা পরতাম হুডিদের মত। আমি এখন বুঝতে পারি কেন তারা আমার লিঙ্গ বেছে নেয়ার দায়িত্ব আমাকে দেননি। আমি বেশ নিশ্চিন্তেই ছিলাম। কিন্তু আমি যখন ১৩, আমার একটা দুর্ঘটনা ঘটল। আমি একটা ঘোড়ার ধাক্কায় পড়ে গেলাম। হাসপাতালে যখন জ্ঞান এল, জানলাম আমার শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে। কৃত্রিমভাবে প্রস্রাব করানোর জন্য নার্স আমার মূত্রনালীতে ক্যাথেটার পরানোর সময় আমার যৌনাঙ্গ দেখে মস্করা শুরু করলেন আমি কি ছেলে না মেয়ে তা নিয়ে। ভাবুন ভাঙা মেরুদণ্ড নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এধরনের ব্যঙ্গবিদ্রূপ শুনছি! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর এক বছর বাসায় আমাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছে। আমার মা, আমার নানী ও বোন সারাদিন কাজ করতো, বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমাকে দেখাশোনা করার কেউ ছিল না। একদিন প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আমি একটা কাঁচি নিয়ে নিজেকে আহত করলাম- এর পর থেকেই যন্ত্রণার উপশম পেতে আমি নিজেকে আঘাত করতে শুরু করলাম। মা কখনও টের পাননি। ডাক্তাররা আমার আবার সুস্থ হয়ে উঠে দাঁড়ানোর আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, কিন্তু একদিন আমি সেরে উঠলাম। লিয়া বলছেন শিশুকালে তার লিঙ্গ ঠিক করে দেবার কারণে একটা অপরাধ বোধে ভুগছেন তার মা সেরে উঠে আমি প্রথমেই স্কুল যেতে চাইলাম। স্কুল আমার বাসা থেকে মাত্র বিশ মিনিটের পথ, কিন্তু আমার হেঁটে স্কুলে যেতে লাগল দুঘন্টা। আমার অক্ষমতা দেখে স্কুলে অন্য শিক্ষার্থীরা আমাকে হয়রানি শুরু করল। তারা আমার ব্যাগ টয়লেটে ছুঁড়ে ফেলে দিত। তারা জানত আমি ছুটে সেখানে যেতে পারব না। এরপর আমি যখন ১৬, তখন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বিছানায় রক্ত। আমাকে হাসপাতালে নেয়া হল, পরীক্ষা করা হল, ডাক্তার আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার ফল দেখে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন: \"আরে ওর তো জরায়ু রয়েছে!\" আমি যে শুনতে পাচ্ছি সে দিকে ওনার ভ্রূক্ষেপ ছিল না। এভাবেই আমি জেনেছিলাম আমার শরীরে নারীর অঙ্গ আছে। তাই আমি ছেলে হয়েও আমার পিরিয়ড হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম আমার শরীরের ভেতর যে অঙ্গ আমি দেখতে পাচ্ছি না- তা ফেলে দেয়া হোক। কিন্তু ডাক্তার আমাদের বোঝালেন আমার শরীরের ভেতরের নারী অঙ্গগুলো পুরো কাজ করছে, সেগুলো ফেলে দেয়া ঠিক হবে না। ফলে দুবছরে আমাকে চারবার অপারেশন করানো হল, আমি নারী হলাম। চিকিৎসকের মতামত: জুলিয়া সিদোরোভা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ \"ভাবুন ১৪ বছরের একজনকে এরকম নিষ্ঠুরভাবে জানানো হচ্ছে তার যৌনাঙ্গের সমস্যার কথা। তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে! এধরনের শিশুদের বাবামাকে প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকতে হয়। অনেকে মাকে এমন প্রশ্নও করে অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় কি ধূমপান করতে? মদ খেতে? কিন্তু একটা শিশু এধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মাবে কিনা সেটা কেউ বলতে পারে না। এটা ঠেকানোর কোন জানা কারণও নেই। আপনার পরিচিত মহলেও এরকম উভলিঙ্গ শিশু হয়ত আছে- আপনি জানেন না।\" (জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৭%এর মধ্যে উভলিঙ্গের যে চল্লিশটিরও বেশি লক্ষণের কথা জানা যায়, তা কমবেশি থেকে থাকতে পারে। ডাক্তাররা অবশ্য বলেন এই হার ১.৭%এর অনেক কম।) এখন আমার দুটি সন্তান - একটি ছেলে একটি মেয়ে। আমার ছেলে যখন জন্মায় আমার বয়স ছিল ২০। আমার মধ্যে কোনরকম মাতৃত্বের অনুভূতি তৈরি হয়নি। তবে আমার ছেলে আর আমি ভাল বন্ধু। আমার মেয়ে আমার সাথে থাকে না। ওর বাবা আর আমি আলাদা হয়ে গিয়েছি। মেয়ে যখন বাচ্চা ওকে নিয়ে একদিন স্কুলে গিয়েছি, সেখান থেকে ওর বাবা ওকে তুলে নিয়ে অন্য শহরে চলে গিয়েছে। আমার মেয়েটাকে এক অর্থে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। জীবনে অনেক পুরুষ ও নারীর সঙ্গে আমার ভাব হয়েছে। আমি মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। পুরুষকে দেখে আমার কোন আবেগ হয় না। আমার চারবার বিয়ে হয়েছে। আমি কিছুদিনের মধ্যে পঞ্চমবার বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমি যাকে ভালবাসি সে ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ। একেক সময় মনে হয় ডাক্তারের পরামর্শ আমার জন্য সঠিক ছিল কিনা। কেন আমি এখনও আমার সঠিক পরিচিতি খুঁজে বেড়াচ্ছি, কেন চারবার বিয়ে করেছি, কেন সন্তানদের নিয়ে সমস্যা... আমার মা পাশে থেকেছেন সবসময়। মনে হয় তার ভেতরে একটা অপরাধ বোধ আছে- এত বছর ধরে তিনি সেই অপরাধ বোধ বয়ে বেড়াচ্ছেন। তার তো কোন দোষ নেই। এই অপরাধ বোধ তার ঝেড়ে ফেলা উচিত। অলগা অনিপকো, ৩৫, ইন্টারসেক্স অধিকার কর্মী আমাকে সবসময় মেয়েদের মত দেখতে ছিল, আমার শরীরের ভেতরেও ছ��ল সবরকম নারী অঙ্গ। কিন্তু আমি যখন কিশোরী, আমার হঠাৎ ওজন বাড়তে শুরু করল। আমাকে অন্যরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করত, হেনস্থা করত। আমি দিনে রাতে জগিং করতাম, ডায়েট করতাম, খেতাম কম। কিন্তু ওজন বাড়তেই লাগল। আমার বয়স যখন ২৪, আমি হরমোন পরীক্ষা করলাম। দেখা গেল আমার হরমোনের নানা সমস্যা। কিন্তু আমি জানতেই পারিনি আমি উভলিঙ্গ। বহু বছর ধরে পরীক্ষা ও ডাক্তারদের কাছে ধর্না দেবার পর অলগা জেনেছিলেন তার শরীরে ক্রোমোজোমের সংখ্যাই তার সমস্যার করণ। হরমোন বিশেষজ্ঞ আমার হরমোনে ভারসাম্য আনার জন্য চিকিৎসা দিলেন। কিন্তু কিছুদিন ওপর আমার ঠোঁটের ওপর এবং ঘাড়ে চুল গজাতে শুরু করল। ভাবুন ২৫বছরের একটা মেয়ের জন্য এটা কতটা বিব্রতকর। আমি হরমোন খাওয়া বন্ধ করে দিলাম। আমার হাতে অর্থ থাকলে এবং উৎসাহ পেলে আরও ডাক্তার দেখাতাম। একজন ডাক্তার বললেন তিনি আমার ক্রোমোজোম পরীক্ষা করাবেন। ভাগ্যিস করলেন। চার বছর আগে আমি জানতে পারলাম আমার শরীরে পুরুষের ক্রোমোজোম রয়েছে, যার অর্থ আমি উভলিঙ্গ অর্থাৎ আমার শরীরে একইসঙ্গে নারী ও পুরুষ দুটো বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। ২৪ বছর বয়সে আমি বুঝতে পারি আমি সমকামী। আমার তরুণ বয়সে আমি যথেষ্ট তন্বী নই বলে দুর্ভাবনায় থাকতাম। এরপর বুঝলাম আমি সমকামী। আর তারপরে জানলাম আমি পুরোপুরি নারী নই। তাহলে আমি কী? আমার ভাই বিষয়টা নিয়ে জানতে আগ্রহ দেখাল। আমার বড় বোনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। আমার বাবামা আমাকে মেনে নিলেন। তাদের ভালবাসা একইরকম রইল। কিন্তু তারা এটা নিয়ে কথা বলতে চাইতেন না। আমার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সমাজে আমাদের মত যারা সাধারণের বাইরে তাদের ব্যাপারে অসহিষ্ণু মনোভাব। অনেকের মত হল উভলিঙ্গ শিশুদের বাচ্চা বয়সে অপারেশন করিয়ে তার লিঙ্গ ঠিক করে দেয়াটা পরবর্তীকালে তাদের মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা যখন সেটা জানতে পারে, ডাক্তার বা বাবামায়ের প্রতি বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কিন্তু কেউ আলাদা হলে সমাজও তাদের অমানবিক দৃষ্টিতে দেখে। স্বাভাবিকভাবে তাদের যখন জন্ম হচ্ছে, তখন প্রকৃতি যেভাবে তাদের পৃথিবীতে নিয়ে আসছে, সেভাবেই তাদের মেনে নেয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠা দরকার। সেরহি কিরিলিউক, মনস্তত্ব ও মনোরোগ বিষয়ে সহাকারী অধ্যাপক \"মনোরোগ চিকিৎসক হিসাবে আমি এরকম অনেক রোগীকে দেখেছি। আমি শুনেছি উভলিঙ্গ মানুষ যখন জানতে পারে, শিশুকালে তাকে অস্ত্রোপচার করে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, তারা খুব রেগে যায়। মূল কথা হল, মনের গভীরে সেই রাগটা পুষে না রাখা। আপনাকে তো বাঁচতে হবে। জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। ইন্টারসেক্স বা উভলিঙ্গরা যখন ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে, যখন নিজেকে বোঝাতে পারে তারা একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ, তার মত আরও অনেকে একই সমস্যা নিয়ে জন্মেছে, তখন তারা জীবনে সুখ খুঁজে পায়। এই উপলব্ধি যাদের হয়েছে তাদের মুখ আমি উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে দেখেছি।\" এই প্রতিবেদনে সহায়তা করেছেন বিবিসির গ্লোবাল আইডেনটিটি বিষয়ক সংবাদদাতা মেঘা মোহান", "doc2": "Iryna Kuzemko, Lia and Olga Opinko have three different intersex variations - there are more than 40 in total Elle est l'une des nombreuses personnes dans le monde dont le sexe a été \"réassigné\" par une opération chirurgicale controversée alors qu'elles étaient encore enfants. L'intersexualité est un terme général qui englobe plus de 40 variantes de caractéristiques sexuelles féminines et masculines. Certaines sont des variations hormonales, d'autres se manifestent sous forme physique - par exemple, les gens peuvent avoir un système reproductif d'un sexe et les organes génitaux externes de l'autre. De nombreuses personnes intersexuées se lancent dans une douloureuse quête de réponses, parfois après une opération de changement de sexe. Les médecins affirment que toute décision de changement de sexe n'est pas prise à la légère : un test génétique est effectué pour déterminer le sexe de l'enfant et divers médecins, parents et généticiens se concertent pour décider s'il faut pratiquer une intervention chirurgicale. Mais les associations de défense des intersexués s'opposent à toute opération non urgente de changement de sexe sur les enfants. Ils affirment qu'une personne ne peut prendre la bonne décision quant à son sexe qu'à l'âge adulte. Ils estiment que les parents et les médecins ne devraient pas décider à leur place de qui ils sont - un homme ou une femme. Trois femmes intersexuées relatent ici leur histoire, décrivant leur chemin vers l'acceptation de soi. Iryna Kuzemko, 27 ans, activiste intersexuelle J'ai grandi comme une fille jusqu'à l'adolescence. Toutes mes camarades ont atteint la puberté et je n'ai pas eu de menstruations. Avec le temps, je suis restée la seule fille de la classe à ne pas avoir de seins. Un jour, on a emmené notre classe voir un film sur la puberté chez les filles. Ce fut une expérience extrêmement douloureuse. Je ne comprenais pas pourquoi tout le monde se développait comme l'expliquait le film et pas moi. Iryna a grandi sans savoir qu'elle était intersexuée - sa variation a commencé à apparaître à l'adolescence Ma mère et ma grand-mère ne s'inquiétaient pas que je n'évolue pas comme les autres filles. Elles ont dit : \"Pas de problème. Tout va bien se passer.\" Mais quand j'ai eu 14 ans, je les ai persuadées de m'emmener chez le gynécologue. Le médecin m'a dit que je devais faire travailler mes ovaires. Elle m'a prescrit quelques exercices pour les \"réchauffer\". Je les ai faites une fois par semaine pendant plusieurs mois, mais en vain. Je me suis sentie encore plus angoissée. À l'âge de 15 ans, mon père m'a emmenée chez des médecins à Moscou. Je me souviens de la rapidité avec laquelle ils passaient devant moi. Ils ne m'ont rien expliqué - ils ont juste appelé mon père au bureau. Mon père m'a dit que je devrais subir une petite opération, ou peut-être deux. Je ne savais pas ce qu'ils me faisaient. Les filles à l'école m'ont demandé, mais je n'en avais aucune idée moi-même. Plus tard, j'ai dit à mon père qu'il valait mieux que j'enlève tout ce qui se trouvait à l'intérieur. Et il m'a répondu : \" Mais on t'a tout enlevé ! \" J'ai été choqué. C'est ainsi que j'ai appris que mes ovaires avaient été enlevés. Durant mes études à l'université , j'ai plongé encore plus profondément dans l'auto-agression et la haine de soi. J'ai trouvé une vidéo sur les intersexuels sur Internet et j'ai remarqué que mon histoire ressemblait à la leur. J'ai trouvé tous mes papiers médicaux et j'ai appelé un médecin à Moscou, ma mère se trouvant à proximité. J'ai eu peur. Alors, à l'âge de 22 ans, j'ai appris que sept ans plus tôt, on m'avait enlevé un testicule et des tissus non fonctionnels avec des éléments de tissu ovarien. Depuis, je prends des hormones. Iryna aurait aimé que les médecins et son père lui expliquent plus tôt sa variation intersexuelle J'ai aussi appris que j'ai des chromosomes masculins, en plus des chromosomes féminins. Et j'ai un utérus. Après cela, j'ai eu une conversation sérieuse avec mon père. Il m'a dit que deux psychologues pour enfants lui avaient conseillé de ne pas me parler de cela. Mon père n'a pas admis son erreur : il aurait dû me dire la vérité tout de suite. Ma vie aurait été différente. Je ne lui ai pas parlé depuis. Pendant quelques jours après cette nouvelle, j'ai été profondément frustrée. Je ne savais plus comment vivre. Mais je me suis très vite acceptée. J'ai maintenant un mot pour décrire ma forme de développement sexuel, \"intersexuel\". Avant cela, je vivais dans l'incertitude. J'ai découvert que les variations intersexuelles sont quelque chose avec lequel les autres vivent paisiblement. Il ne faut pas nécessairement qu'il y ait de la souffrance. Mon estime de soi a considérablement augmenté. J'ai également décidé d'être active pour aider d'autres enfants et adolescents à éviter le traumatisme que j'ai vécu. Observation du médecin : Julia Sydorova, pédiatre \"Il faut distinguer la chirurgie lorsque la vie de l'enfant est menacée, et la chirurgie dite esthétique. Cette dernière est le plus souvent pratiquée sur des bébés : leurs organes génitaux externes sont formés de manière à avoir un aspect typique. Un enfant de sexe féminin, par exemple, peut avoir des organes génitaux externes avec des caractéristiques masculines. Il peut y avoir une hypertrophie du clitoris. Pour lui donner un aspect typiquement féminin, il est disséqué. Bien que cette affection ne mette pas la vie en danger, elle suscite des préoccupations sociales. Un tel enfant peut être regardé de façon suspecte à la maternelle ou à la piscine. Parfois, la même variation intersexuelle perturbe la production d'urine - alors la chirurgie est absolument justifiée\". Chaque enfant doit avoir la possibilité de prendre ses propres décisions concernant son corps et son sexe. Ils peuvent le faire consciemment lorsqu'ils grandissent. S'il y a un problème spécifique, comme un urètre fermé, qui rend impossible d'aller aux toilettes, un enfant a besoin d'aide. La chirurgie peut souvent entraîner des effets secondaires tels que la perte de sensibilité, la stérilité ou des douleurs chroniques. L'hormonothérapie augmente le risque de cancer. Je dois par exemple me faire examiner régulièrement. Il est également important de comprendre qu'il ne faut pas confondre la variation intersexuelle avec l'orientation sexuelle. La plupart d'entre nous sommes hétérosexuels, mais il y a des homosexuels, tout comme il y en a avec d'autres personnes. Les personnes présentant des variations intersexuelles ont des familles et ont des enfants, mais certaines d'entre elles apprennent leurs variations intersexuelles au niveau des chromosomes lorsqu'elles ne peuvent pas concevoir d'enfant. Mais en même temps, chaque histoire est unique : des traits sexuels mixtes peuvent déjà être visibles à la naissance, mais d'autres personnes ont une apparence typique, et la variation intersexuelle se manifeste pendant la puberté. Iryna précise que la discrimination à l'égard des personnes intersexuées doit être interdite Aujourd'hui, beaucoup de mes camarades de classe, de mes professeurs et de mes amis me soutiennent. Je reçois beaucoup d'amour de la part des gens. Depuis que j'ai appris à me comprendre et à m'accepter, chaque année de ma vie a été de plus en plus heureuse. Lia (nom d'emprunt) Mon histoire a commencé à la maternité. Les médecins ont dit à ma mère que j'avais des organes génitaux sous-développés, qui ne semblaient ni masculins ni féminins. Ils lui ont demandé : \"Maman, as-tu l'impression d'avoir donné naissance à une fille ou à un garçon ?\". Ma mère a décidé de m'enregistrer comme fille. C'est la première erreur que les médecins ont commise. Ils n'auraient pas dû mettre toute la responsabilité sur la mère. Alors, au début, j'ai grandi comme une fille, et ma mère m'assure, comme tout autre enfant. Avant que je ne commence l'école, ma mère m'a emmenée passer un examen médical. Le médecin de la clinique pour enfants l'a dit à ma mère : \"Es-tu saine d'esprit ? Tu as un garçon !\" D'autres médecins ont confirmé que j'étais un garçon et mes documents et mon nom ont été changés. J'ai été en première année de l'école primaire, mais il y avait là des enfants de mon jardin d'enfants, où tout le monde me connaissait comme une fille. Ma mère a dû me transférer dans une autre école. Jusqu'alors, je ne m'étais pas inquiétée de ce qui m'arrivait. Mais quand j'ai remarqué à quel point les adultes étaient inquiets, j'ai commencé à m'inquiéter et à me sentir stressée. Lia a passé des années à se débattre avec son identité Je refusais de couper mes cheveux longs, mais je portais des pantalons et des vêtements amples, comme des chandails à capuchon. Je comprends aujourd'hui qu'ils m'ont permis d'éviter de choisir mon sexe, ce qui m'a calmée. J'ai conservé ce look jusqu'à aujourd'hui. À 13 ans, j'ai eu un accident : J'ai été renversé par un cheval. Je me suis réveillé à l'hôpital avec une fracture de compression de la colonne vertébrale. On m'a posé un cathéter, les infirmières ont donc vu mes organes génitaux et m'ont taquiné en me disant qu'on ne savait pas si j'étais une fille ou un garçon. Imaginez que je sois allongée avec une colonne vertébrale brisée et que je doive écouter cela. Après avoir été libéré de l'hôpital, je suis resté couché à la maison pendant un an dans une chambre où j'avais un lit, une chaise et deux bols : un pour la nourriture et un pour les toilettes. Ma mère, ma grand-mère et ma sœur travaillaient toute la journée et mon père nous avait quittés, il n'y avait donc personne pour s'occuper de moi. Un jour, j'avais tellement mal que je me suis blessé avec des ciseaux - c'est comme ça que l'automutilation est apparue dans ma vie. Ma mère n'a rien remarqué. Les médecins ne croyaient pas que je me remettrais un jour sur pied, mais j'ai commencé à faire de l'exercice et un jour je me suis levée sans aucun équipement spécial. Lia dit que sa mère s'est sentie coupable des décisions qu'elle a prises concernant le sexe de son enfant L'école était le premier endroit où je voulais aller - c'était à 20 minutes, mais après la maladie, il m'a fallu deux heures pour m'y rendre. À l'école, les enfants me harcelaient et jetaient mon sac dans les toilettes. Ils savaient que je ne pouvais pas leur courir après. J'avais 16 ans quand un matin, je me suis réveillé et j'ai trouvé du sang dans mon lit. On m'a emmené à l'hôpital et un médecin m'a examiné à l'aide d'une échographie. Soudain, il a crié : \"Il y a un utérus ici !\" Il a complètement ignoré le fait que je pouvais l'entendre. C'est ainsi que j'ai découvert que j'avais des organes génitaux féminins - que j'étais un garçon qui commençait à avoir ses règles. À l'époque, je voulais qu'on m'enlève ce qui était à l'intérieur de mon corps, ce que je ne pouvais pas voir. Cependant, les médecins nous ont convaincus qu'il valait mieux laisser les organes internes, parce qu'ils fonctionnaient parfaitement et pouvaient être utiles à l'avenir. J'ai donc subi quatre opérations en quelques années et je suis devenue une fille. Observation du médecin : Julia Sydorova, pédiatre \"Les médecins rencontrent rarement des variations intersexuelles. Imaginez les sentiments d'un adolescent qui apprend la présence d'une variation intersexuelle à l'âge de 14 ans. Et on le lui dit si brutalement. Les parents de ces enfants subissent beaucoup de pression. On leur demande souvent si ils ont un lien de parenté étroit, ou si la mère a fumé ou bu pendant la grossesse. Mais personne n'est assuré contre la naissance d'un enfant intersexué. De plus, il y a une forte probabilité qu'il y ait des intersexués parmi vos connaissances\". (L'ONU indique qu'environ 1,7 % de la population totale pourrait avoir l'une des plus de 40 variantes possibles d'intersexualité, bien que d'autres médecins avancent un chiffre bien inférieur). Maintenant, j'ai moi-même deux enfants - un fils et une fille. J'ai donné naissance à mon fils à l'âge de 20 ans. Je n'avais pas de sentiments maternels, mais mon fils et moi avons une relation assez amicale. Ma fille ne vit pas avec moi. Un jour, je l'ai emmenée à l'école maternelle et son père est venu la chercher pour l'emmener dans une autre ville. Il a kidnappé mon enfant. J'ai rencontré beaucoup d'hommes et de femmes dans ma vie. J'étais attirée par les femmes et je n'avais aucun contact émotionnel avec les hommes. Les hommes ne m'intéressaient que comme modèles - j'observais ce qu'ils faisaient, comment ils se comportaient au lit. Après tout, je devais le faire de cette façon. J'ai eu quatre mariages et je me prépare pour le cinquième. Nous allons avoir un mariage à l'église. La personne que j'aime est un homme transgenre : il est né dans un corps de femme, mais son identité sexuelle est un homme. Qui sait, peut-être que ma vie aurait été complètement différente si les médecins ne nous avaient pas convaincus de faire ce que nous n'aurions pas dû faire. Peut-être que je n'aurais pas eu cette longue recherche d'identité, quatre mariages, des problèmes avec les enfants... D'autre part, mes enfants, le mariage que je prépare, le retour à l'église - tout cela est un témoignage de ma gratitude envers ma mère. Toutes ces années, elle a vécu dans la culpabilité, se demandant si elle avait choisi le bon sexe. Il est temps pour elle de se déculpabiliser. Olga Onipko, 35 ans, activiste intersexuelle J'ai toujours eu l'air d'une fille et j'ai aussi un système féminin en interne. Mais quand j'étais adolescente, j'ai commencé à prendre du poids et j'ai été malmenée. J'ai fait du jogging jour et nuit et j'ai suivi un régime pour perdre du poids, mais j'ai continué à en prendre. À l'âge de 24 ans, j'ai fait des tests hormonaux qui ont révélé que mon système était complètement détraqué, mais je n'avais toujours aucune idée que j'étais une personne intersexuée. Après de nombreuses années de recherche, une analyse de ses chromosomes a donné à Olga la réponse qu'elle cherchait L'endocrinologue a prescrit des hormones pour compenser le déséquilibre, mais au bout d'un certain temps, j'ai eu des poils sur la lèvre supérieure et le cou. Imaginez ce que c'est pour une jeune fille de 25 ans qui veut sortir et se faire des amis. J'ai arrêté de prendre ces hormones, mais de temps en temps, quand j'avais de l'argent et de l'énergie, je rendais plus souvent visite à des médecins. Un médecin m'a proposé de faire une analyse de mon jeu de chromosomes. Grâce à cela, j'ai appris il y a quatre ans que j'avais des chromosomes masculins, ce qui signifie que je suis une personne intersexuée. Beaucoup plus tôt, à l'âge de 24 ans, j'ai réalisé que j'étais lesbienne. Imaginez donc mes sentiments : toute ma jeunesse, j'ai eu peur de ne pas être assez mince, puis j'ai réalisé que j'étais homosexuelle et maintenant je me demande si je suis assez femme. Qui suis-je au juste ? Mon frère a pris mon statut d'intersexué avec intérêt. Wow, c'est cool ! Mes sœurs aînées étaient plus inquiètes. Mes parents m'acceptent, ils m'aiment, mais ils ne peuvent pas en parler. Il leur est également difficile d'accepter que mon partenaire soit une personne non binaire. Elle est née fille mais ne se perçoit pas comme un homme ou une femme. Pour moi, les problèmes des personnes intersexuées sont le summum de l'intolérance à la diversité dans la société. Les personnes intersexuées ont besoin d'être entendues. Elles disent que les opérations chirurgicales de leur enfance les ont paralysées, qu'elles se sentent différentes de ce que les médecins ont décidé. Les médecins et les parents essaient de faire entrer un enfant ayant des caractéristiques sexuelles mixtes dans le cadre binaire \"homme ou femme\". La société ressent le besoin de rendre ces personnes \"compréhensibles\". Ces personnes sont malmenées par ceux qui ont une forte crainte de l'incertain et de l'inhabituel. Mais peut-être que la norme est exactement la possibilité que de telles personnes puissent naître. La nature ne s'inscrit pas toujours dans la logique binaire des sexes. Serhiy Kyryliuk, professeur associé de psychiatrie et de psychothérapie En tant que psychothérapeute, j'ai de tels patients. Lorsque les personnes intersexuées apprennent l'opération qu'elles ont subie dans leur enfance, elles peuvent se sentir très en colère. L'essentiel est de ne pas laisser cette colère s'installer au plus profond de l'âme. Il faut la vivre. Lorsque les personnes intersexuées s'acceptent et réalisent leur caractère unique, elles deviennent extrêmement belles. Leur visage commence à briller. \""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44104056", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49311839", "doc1": "ঝড়ে গাছ এবং দেয়াল ধসে পরেছে দিল্লি থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন প্রচণ্ড ধূলিঝড় এবং বজ্রপাতে বেশ কিছু গাছ এবং দেয়াল ধসে পরেছে। নিহতদের মধ্যে উত্তর প্রদেশে ১৮ জন, অন্ধ্র প্রদেশে আট জন, তেলেঙ্গানাতে তিন জন নিহত হয়েছে বলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এদিকে পশ্চিম বাংলায় নয় জন এবং দিল্লিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উত্তর পশ্চিমে ঝড় এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় লিখেছেন \"দেশের কিছু এলাকায় ঝড়ে প্রাণহানির যে ঘটনা ঘটেছে তাতে খারাপ লাগছে। কর্মকর্তা নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমের সহায়তা যেন করা হয়\"। এদিকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা হয়। একজন মুখপাত্��� জানিয়েছেন প্রায় ৭০টি মত ফ্লাইট গতিপথ পরিবর্তন করতে হয়েছে। এছাড়া দিল্লির মেট্রো সার্ভিস বিঘ্নিত হয়েছে। আরো পড়ুন: বিদেশি সামরিক দূতরা কেন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন 'ইসরায়েলি লবি' এবং আল জাজিরা: নেপথ্যে কী ঘটছে? পরিবারের সবাই যখন আত্মঘাতী হামলাকারী", "doc2": "L'Etat du Kerala, dans le sud de l'Inde, est parmi les zones les plus durement touchées Des centaines de milliers de personnes également ont été évacuées, selon les autorités indiennes. L'Etat du Kerala, dans le sud, est parmi les zones les plus durement touchées avec un bilan provisoire de 67 morts. Lire aussi : Le village sous-marin qui émerge une fois par an Selon un responsable local, cité par l'Agence France Presse, au moins 165 000 personnes ont été transférées dans plus de 1318 camps de secours disséminés dans quatorze districts de l'Etat de Kerala. Le mauvais temps et les infrastructures endommagées ont rendu plus difficiles les opérations de secours, a-t-il ajouté. Lire aussi : L'Inde sur les traces des corps des alpinistes disparus Des équipes de secours d'urgence, des soldats de la Marine et de l'Armée de l'Air ont contribué aux opérations à travers toutes les régions frappées par les intempéries. Dans l'Etat voisin du Karnataka, le bilan provisoire s'élève à 34 morts. Chaque année, les pluies de mousson sont attendues en Inde pour refaire le plein des réserves en eau mais elles coûtent aussi la vie à des centaines de personnes."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49131345", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-45546815", "doc1": "বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। সেজন্য আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন তারা। ছবিটি তোলা হয়েছে গাইবান্ধা থেকে। গত ২৩শে জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যার কারণে ১২ দিনে বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৮৭ জন মারা গেছে। এরপর গত তিনদিনে আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার বন্যার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং মধ্যাঞ্চলের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে। জুলাইয়ের প্রথম দিকে শুরু হওয়া বন্যার ব্যাপকতা আপাতত কিছুটা কমলেও এখনও অন্তত ৭৪টি উপজেলায় মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইল, জামালপুর, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা ও বগুড়ায় ৯ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জামালপুর, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলায়। এছাড়া বগুড়া, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পূর্বাভাস কেন্দ্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যমুনা নদী ছাড়া দেশের অন্য সব প্রধান নদীর পানির হার হ্রাস পাচ্ছে এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশে যেসব এলাকায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্যার পানি উঠেছিল, সেখানকার অনেক জায়গায় পানি ধীরে-ধীরে নামা শুরু করেছে। এ সময় সাধারণত পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেসব এলাকাতেও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। তবে তা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বা মহামারী আকার ধারণ করেনি। বাসস্থানের জায়গায় পানি। তাই শিশু সন্তানকে এখন সবসময় কোলে রাখতে হয় এই নারীর। ছবিটি টাঙ্গাইল জেলা থেকে তোলা। গাইবান্ধা জেলার পাবলিক হেল্থ নার্স নাজমা আক্তার বলেন, সেখানে কিছু পানিবাহিত রোগ দেখা গেলেও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। \"পানিতে থাকতে-থাকতে অনেকেরই চর্মরোগ দেখা যাচ্ছে, পায়ে ঘা এর মত হচ্ছে। এছাড়া ডায়রিয়াটা ছড়িয়ে পড়লেও তা খুব একটা আশঙ্কাজনক নয়।\" এছাড়া সাপের ছোবল বা দুর্ঘটনাবশত পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও খুব বেশি ঘটেনি বলে জানান মিজ. আক্তার। বন্যাদুর্গত প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সেবা প্রদান করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ছোট ছোট অনেকগুলো স্বাস্থ্য সেবা দল গঠন করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে দুর্গত অনেক এলাকার মানুষই প্রয়োজনীয় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জামালপুরের বন্যাদুর্গত একটি উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী থাকায় তাদের পরিবারের শিশুদের মধ্যে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়লেও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাননি তারা। একই রকম অভিযোগ পাওয়া যায় আরো বেশ কয়েকটি বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে। বন্যায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে গাইবান্ধার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমা আক্তার। \"কয়েকটি এনজিওর সহায়তায় নৌকা নিয়ে দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসে টিমগুলো। কাজেই অনেক জায়গাতেই যাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।\" মিজ. আক্তার বলেন, যারা আশ্রয়শিবিরে না থেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়া কষ্টসাধ্য হচ্ছে। বন্যায় পানিবাহিত রোগের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে ফসল নষ্ট হবে বলেও ধারণা করা হ���্ছে।", "doc2": "Les inondations ont fait des centaines de morts L'Agence nationale de gestion des situations d'urgence (NEMA) a déclaré que les fortes pluies ont poussé les deux principaux fleuves du pays, le fleuve Niger et la rivière Benue, à sortir de leurs lits. Le gouvernement exhorte les résidents le long des voies navigables à se déplacer dans des endroits sûrs. Le désastre est perceptible à travers tout le Nigeria mais les inondations ont été particulièrement meurtrières l'Etat du Niger (centre-nord). Le chef de la NEMA, Mustapha Yunusa Maihaja, a déclaré à la BBC que plus de 40 personnes étaient mortes dans l'Etat. \"Des décès ont également été signalés dans 11 autres États\", a-t-il ajouté. A lire aussi : 40 morts dans des inondations au Nigeria A lire aussi : Inondations au Niger A lire aussi : Sierra Leone : une centaine d'enfants emportés par les inondations Plusieurs Etats touchés par les inondations Des dizaines de zones ont été submergées, des milliers de personnes se sont retrouvées sans abri et de vastes étendues de terres agricoles ont été détruites par les inondations. Les zones rurales sont les plus touchées. Les autorités nigérianes affirment qu'il est possible que d'autres inondations se produisent dans les jours et les semaines à venir, alors que le pays continue à connaître de fortes pluies. Ils envisagent de déclarer l'état d'urgence à la suite de la catastrophe pour assurer une réponse plus efficace. Le Nigeria fait face à des inondations presque chaque année. Les analystes attribuent cette situation au manque d'aménagement urbain approprié, aux voies d'eau bouchées et aux systèmes de drainage défaillants. Ils estiment également que le barrage de Lagdo, au Cameroun voisin, qui se trouve sur la rivière Benue qui traverse le Nigéria, présente un risque de fortes inondations lorsque les autorités camerounaises libèrent l'eau des retenues du barrage."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49025768", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde/2014/08/140808_ebola_emergency", "doc1": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে এটি এখন একটি \"আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য সংকট।\" জেনিভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস এই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে সীমান্ত বন্ধ করে দেবার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা হয়নি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কবার্তা হিসেবে ঘোষণাটি এসেছে। এমন সতর্কবার্তা এর আগে এ পর্যন্ত চারবার দিয়েছে সংস্থাটি। তার একটি ছিল পশ্চিম আফ্রিকাতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলা ইবোলার প্রাদুর্ভাবে এগারো হাজার মানুষের মৃত্যুর পর। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে এ পর্যন্ত ১৬০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান মি. গিব্রাইয়াসুস সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, \"বিশ্ববাসীর নজর দেয়ার সময় এসেছে।\" এই ঘোষণার ফলে সেটি হয়ত কিছুটা সম্ভব হবে বলে তিনি নিজেই মন্তব্য করেছেন। টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস বলছেন, \"বিশ্ববাসীর নজর দেয়ার সময় এসেছে।\" কতটা ভয়াবহ এই প্রাদুর্ভাব? এবার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে যে ইবোলা ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেটি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এর শুরু ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। দেশটির দুটি প্রদেশে প্রথম এটি দেখা দেয়। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনভাগের দুইভাগই মারা গেছেন। প্রতিদিন ১২ জন করে নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ইবোলার লক্ষণ কী? ইবোলা একটি ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হলে খুব হঠাৎ করে জ্বর দেখা দেয়। খুব দুর্বল লাগে। আরো পুড়ন: 'অন্য বছরের চেয়ে এবারে জটিলতাগুলো অনেক বেশি' ডিআর কঙ্গোর ভয়ংকর বিষধর সাপের মুখোমুখি মাংসপেশি খুব ব্যথা হতে থাকে। গলায়ও খুব ব্যথা হয়। এর পরবর্তী ধাপ হল বমি ও ডাইরিয়া দেখা দেয়। শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তপাত হতে থাকে। সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির কেটে যাওয়া ত্বক, তার মুখ, নাক, বমি, রক্ত, মল বা শরীরের অন্য ধরনের তরল কোন পদার্থের সংস্পর্শে এলে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিশ্বাস করছেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অনেকেই। কেন এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? আফ্রিকাতে নানা দেশে চলমান রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংঘাতের কারণে ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু এ বছরের জানুয়ারি থেকেই ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্র বা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ১৯৮টি হামলা হয়েছে যাতে সাতজন নিহত হয়েছে এবং ৫৮ জন আহত হয়েছে। আর একটি সমস্যা হল স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিশ্বাস করছেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অনেকেই। আর চিকিতসার সময় অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা করে রাখা হয়, যার ফলে তারা চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাতে সংক্রমিত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সংক্রমিত হয়েছেন এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়াও একটি বড় সমস্যা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গত বিশ বছরে এসেছে সাতটি নতুন রোগ সার্ফিং-এর নতুন স্বর্গ হতে পারে যে সমুদ্রতট এমন অনেক রোগীও পাওয়া গেছে যারা কখনো কোন ইবোলা রোগীর সংস্পর্শ আসেননি। চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ-এর কর্মকর্তা ট্রিশ নিউপোর্ট বলেছেন, \"প্রাদুর্ভাব শুরুর এক বছর ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে কিন্তু পরিস্থিতির কোন উন্নত এখনো দেখা যাচ্ছে না।\" তিনি আরও বলছেন, \"এখানে দীর্ঘ সহিংসতা আর সংঘাতের কারণে জটিল এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার কারণে বিদেশী কাউকে অবিশ্বাস করার একটা প্রবণতা রয়েছে।\" এটি কি অন্যান্য দেশেও ছড়াতে পারে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এটি ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা খুবই বেশি। রোগটির প্রতিষেধক ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। উগান্ডায় ইতিমধ্যেই রোগটি কয়েকজনের মধ্যে সনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে রুয়ান্ডা কারণ দেশটির সাথে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সীমান্তবর্তী অঞ্চল গোমা'তে ইবোলা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। এই রোগের প্রতিষেধক রয়েছে রোগটির প্রতিষেধক রয়েছে এবং সেটি ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। দেড় লাখের বেশি মানুষকে সেই প্রতিষেধক দেয়াও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জনগোষ্ঠীর সকলকে সেটি দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র যারা কোন ইবোলা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন অথবা তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকে ওই প্রতিষেধক দেয়া হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকাতে এর আগেরবারের মহামারী যখন চলছিলো তখন এই রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত হয়েছে। এবারের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সবার জন্য সেটি সহজলভ্য করা হয়েছে। অন্যান্য খবর: 'আয়শার পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' 'দুধে সহজে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো না' ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট", "doc2": "Décrivant l'épidémie comme ''la plus importante et la plus sévère '' en quatre décennies, la directrice générale de l'OMS, le Dr Margaret Chan a annoncé de nouvelles mesures pour combattre la maladie notamment des restrictions de voyager. Le comité d'experts de l'OMS a estimé qu'il faut une réponse internationale coordonnée \" pour arrêter et faire reculer la propagation internationale d'Ebola\". Le fait de déclarer Ebola comme une urgence de santé publique de portée mondiale permet à l'OMS d'exiger que tous les voyageurs quittant les pays affectés fassent l'objet d'un examen dans les aéroports. L'organisation peut également imposer une interdiction de voyager à toutes les personnes infectées et à tous ceux qui ont été en contact avec elles. L'épidémie d'Ebola a fait près de 1.000 morts depuis le début de l'année sur plus de 1.700 cas présumés. Les pays les plus touchés sont la Guinée, la Sierra Leone, et le Liberia. Des cas de fièvre hémorragique Ebola ont été signalés au Nigeria. Des cas suspects sont en observation au Benin et en Ouganda. Un premier européen malade d'Ebola, un missionnaire espagnol contaminé du Liberia, a été rapatrié, Jeudi. Deux patients originaires des Etats-Unis ont été également rapatriés. C'est la troisième fois que l'OMS met en place un tel dispositif d'urgence comme ce fut le cas en 2009 pour l'épidémie de grippe aviaire en Asie, et en mai dernier face aux nouveaux développements de la poliomyélite au Proche Orient."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50729711", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51395376", "doc1": "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতে। হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান জেরি ন্যাডলার এবিষয়ে আইনের যে দুটি ধারা প্রকাশ করেছেন তার প্রথমটিতে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের এবং দ্বিতীয়টিতে তার বিরুদ্ধে সংসদের কাজে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে মি. ট্রাম্প ইউক্রেইনকে দেয়া অর্থ সাহায্য স্থগিত করেছিলেন। তবে মি. ট্রাম্প বরাবরই এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে আসছেন, এবং তার বিচারের এই পুরো প্রক্রিয়াকে 'পাগলামি' বলে বর্ণনা করেছেন। জুডিশিয়ারি কমিটি যদি এই দুটি ধারা অনুমোদন করে তাহলে সেটি হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে পূর্ণাঙ্গ ভোটের জন্য তোলা হবে। আর সেখানে সেটি পাশ হলে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে সংসদীয় বিচার শুরু হবে। প্রেসিডেন্টের বিচারের ওপর আইন নিয়ে কথা বলছেন জেরি ন্যাডলার, হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি অমিত শাহের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি গত সেপ্টেম্বর মাসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অভিযোগ করেন যে অর্থ সাহায্য স্থগিত রাখার প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি টেলিফোন সংলাপ তিনি নিজে শুনেছেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলছেন, এটা যে হবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। কয়েকমাস ধরেই তিনি এ নিয়ে খবর পাঠাচ্ছিলেন। \"তার পরও জুডিশিয়ারি কমিটির সভাপতি যখন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বড় মাপের অপরাধ এবং বিধিবহির্ভূত কাজের অভিযোগ করেন তখন আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।\" হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ যদি প্রেসিডেন্টের বিচারের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে মি. ট্রাম্প দু'জন সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন (১৮৬৮) এবং বিল ক্লিনটনের (১৯৯৮) কাতারে গিয়ে দাঁড়াবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শুধু এই তিনজন প্রেসিডেন্টের বিচার প্রক্রিয়া এভাবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এসবই ইতিহাস। জন সোপেল বলছেন, প্রশ্ন হলো এর পর কী ঘটতে যাচ্ছে? এই প্রক্রিয়া কি মি. ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আশাকে ধূলিসাৎ করবে, নাকি মার্কিন ভোটাররা একে তাদের প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা প্রচেষ্টা হিসেবে দেখবে?", "doc2": "Donald Trump est accusé d'abus de pouvoir et d'entrave au Congrès Il est accusé d'abus de pouvoir et d'entrave au Congrès. Mitt Romney a été le seul républicain à voter en faveur de la condamnation du président. Lire aussi : Impeachment de Trump: ce que vous devez savoir sur le procès du Sénat Le leader des démocrates au Sénat, Chuck Schumer, a indiqué que l'acquittement du Président Trump était ''sans valeur'' parce que les républicains avaient refusé d'autoriser l'audition des témoins au procès. Lire aussi : Quels pays aiment le plus et le moins Trump ? La secrétaire de presse de la Maison Blanche, Stephanie Grisham, a déclaré que les accusations contre M. Trump étaient le résultat ''d'une chasse aux sorcières démocrate et étaient fondées sur des mensonges''. Les procureurs n'ont pas obtenu la majorité des deux tiers du Sénat nécessaire pour condamner M. Trump et le démettre de ses fonctions."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54351202", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53933594", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন বিবিসি'র উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্থনি জারখারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই 'বিতর্ক' ঠিক কীরকম হতে যাচ্ছে তা আগে থেকেই অনেকটা পরিষ্কার ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল বাইডেনকে বিব্রত করা, যা নিশ্চিত করতে তিনি ক্রমাগত বাইডেনের কথার মধ্যে তাকে বাধা দিয়েছেন। এর ফলে ৯০ মিনিটের বিতর্কের মধ্যে বেশ কয়েকবার দু'জনের মধ্যে বচসা হয়েছে। ট্রাম্প যেমন প্রশ্ন তুলেছেন বাইডেনের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে, তেমনি বাইডেনও ট্রাম্পকে 'ক্লাউন' বলে কটাক্ষ করেছেন। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাইডেন প্রশ্ন করেন যে: \"তুমি কি চুপ করবে?\" বিতর্কের মধ্যে বাইডেনের কথা থামিয়ে দিয়ে বারবার তাকে বাধা দিয়েছেন ট্রাম্প, জবাবে একপর্যায়ে ডেমোক্র্যাট বাইডেনের স্মিত হাসির সাথে মাথা ঝাঁকিয়ে হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এমনকি এক পর্যায়ে বিতর্কের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস যখন দুই পক্ষকে করোনাভাইরাস নিয়ে আড়াই মিনিট করে বাধাহীনভাবে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, তখন বাইডেন ট্রাম্পের ক্রমাগত কথার মাঝখানে বিরক্ত করার প্রবণতাকে কটাক্ষ করে ফোঁড়ন কেটে বলেন: \"তার জন্য শুভকামনা।\" আরো পড়তে পারেন: দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান কী যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ৩রা নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রথমবার বিতর্কে দুই প্রার্থী করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ এই বিতর্কে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল এবং বিতর্কের শুরুর দিকেই এবিষয়ে আলোচনা হয়। করোনাভাইরাসে দুই লাখ মানুষ মারা যাওয়ায় ট্রাম্পের কাছ থেকে ব্যাখ্যা আশা করছিল মানুষ। তিনি অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই বলে যে তিনি পদক্ষেপ না নিলে আরো বহু মৃত্যু হতে পারতো এবং জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতো। এর জবাবে বাইডেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন করেন যে তারা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করেন কি না। দীর্ঘ সময় সরকারি দায়িত্বে থাকা জো বাইডেনকে বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, \"৪৭ মাসে (ক্ষমতায় থেকে) আমি যা করতে পেরেছি, আপনি ৪৭ বছরে তা পারেননি।\" বাইডেনের জবাব ছিল: \"এই প্রেসিডেন্টের অধীনে আমরা আরো দুর্বল, অসুস্থ, দরিদ্র ও বিভাজিত হয়েছি।\" নির্বাচনের ফলাফল মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেননি ট্রাম্প নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। ঐ অংশে বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী দুই পক্ষই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ট্রাম্পের আশঙ্কা ডাকের মাধ্যমে ভোট দেয়া হলে দুর্নীতির সুযোগ থেকে যায়। বাইডেন দাবি জানান, সবগুলো ব্যালট যেন গণনা করা হয় এবং নির্বাচনের ফলাফল সব পক্ষ যেনে মেনে নেন। শেষদিকে তিনি আরো কিছু বলতে চাইলেও ট্রাম্প তাকে আবারো বাধা দিলে সঞ্চালক ওয়ালেস বিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 'বিশৃঙ্খলাপূর্ণ' বিতর্ক সন্ধ্যার শেষটা অনেকটা হঠাৎ করেই হয়। আর এদিনের বিতর্কটা প্রথাগত কোন বিতর্কের মতও ছিল না। এই ধরণের অনুষ্ঠান সাধারণত নির্বাচনের ফলাফলে কোন ভূমিকা রাখে না। আর ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রথম বিতর্কটা যতটা গণ্ডগোল ও পাল্টা দোষারোপের মধ্যে শেষ হয়েছে, এর ফলে খুব বেশি মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনাও নেই।", "doc2": "M. Trump et M. Biden auront trois débats télévisés en direct M. Trump a déclaré au Washington Examiner qu'il avait remarqué une amélioration soudaine des performances de M. Biden dans les débats télévisés des démocrates. Le président n'a fourni aucune preuve que son rival pourrait être sous l'emprise de la drogue, si ce n'est pour dire : \"Je suis plutôt bon dans ce domaine.\" M. Biden et M. Trump auront trois débats avant l'élection du 3 novembre. En 2016, M. Trump avait laissé entendre que sa rivale démocrate de l'époque, Hillary Clinton, avait été \"gonflée à bloc\" avant leurs débats et l'avait mise au défi de passer un test de dépistage de drogue avant leur dernière rencontre télévisée en direct. Le camp Clinton a balayé son défi. Mercredi, le président - qui doit prononcer jeudi son discours principal à la convention du parti républicain en cours - a fait une déclaration similaire, affirmant que la capacité de débat de M. Biden s'était nettement améliorée lors du débat final. A lire aussi Trump a laissé les États-Unis \"en lambeaux\" : Biden et Harris clashent le président des USA Trump met en doute l'intégrité des élections Michelle Obama: \"Donald Trump n'est pas le bon président pour notre pays\" M. Trump a déclaré que l'ancien vice-président américain \"n'était même pas cohérent\" lors de certains des onze débats télévisés en direct auxquels il a participé face à une foule de prétendants pendant la saison primaire des Démocrates. Au moment du dernier débat, le 15 mars, le champ d'action avait été réduit à M. Biden et au sénateur du Vermont Bernie Sanders. Le président a promis un avenir radieux pour l'avenir de l'économie américaine. M. Trump l'a déclaré au Washington Examiner : \"Je ne sais pas comment il [M. Biden] a pu être aussi incompétent dans ses performances lors des débats et être tout à coup bien contre Bernie.\" Il a ajouté : \"Ce n'est pas qu'il était Winston Churchill parce qu'il ne l'était pas, mais c'était un débat normal et ennuyeux. \"Vous savez, il ne s'est rien passé d'extraordinaire. Et nous allons demander un test de drogue parce qu'il n'y a pas moyen - vous ne pouvez pas faire ça\". M. Trump a parlé des débats : \"Eh bien, c'est un combat de prix. Ce n'est pas différent des gladiateurs, sauf que nous devons utiliser notre cerveau et notre bouche. Et notre corps pour nous tenir debout. Je veux que tout le monde soit debout - ils veulent s'asseoir.\" Les trois débats présidentiels auront lieu à Cleveland, Ohio, le 29 septembre, à Miami, Floride, le 15 octobre et à Nashville, Tennessee, le 22 octobre. M. Trump a demandé que des débats supplémentaires soient programmés avec M. Biden, mais la Commission des débats présidentiels a refusé. Il a alors demandé que le premier débat soit organisé plus tôt au profit des électeurs précoces, toujours en vain. M. Trump, 74 ans, et M. Biden, 77 ans, ont tous deux échangé des gibets disant que l'autre souffre de démence. L'équipe de M. Biden n'a pas encore répondu aux remarques de M. Trump."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46365852", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46375213", "doc1": "এইচআইভি নিয়ে সচেতনতামূলক ব্যজ। এর মধ্যে শুধুমাত্র গত বছরই মারা গেছে দশ লাখ। বিশ্বব্যাপী আরও তিন কোটি সত্তর লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত রয়েছেন। আর প্রতি বছর নতুন করে আরও ১৮ লাখের মতো মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এইচআইভি ভাইরাস থেকেই শুধুমাত্র আপনি এইডস আক্রান্ত হবেন। এটি বিশ্বের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয়ক সংকটগুলোর একটি। ১৯৮০ সাথে প্রথম এই ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করেছে বলে জানা যায়। সে সময় থেকে এটি নিয়ে বিচিত্র সব ধারণা তৈরি হতে থাকে যার অনেকগুলোই একেবারে ভ্রান্ত। রক্ত পরীক্ষায় এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পরে। আক্রান্তদের সাথে সাধারণ মেলামেশা ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করতো যে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে বা তার ত্বক ও মুখের লালা দ্বারা আপনিও আক্রান্ত হবেন। কিন্তু এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। একই বাতাসে নিশ্বাস নিলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে, চুমু খেলে, একই পাত্রে খাবার খেলে, পানি খেলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার করলে, তার ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলে আপনিও এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। আরো পড়ুন: এইডস রোগ ঠেকাতে এক লাখ পুরুষের খতনা নারীর দেহে এইচআইভি ছড়ানোই ছিল তাঁর কাজ অবশেষে এইডসের প্রতিষেধক পেতে যাচ্ছে মানুষ? এর নিরাময় সম্পর্কে প্রচলিত কিছু মিথ আফ্রিকার কিছু দেশ, ভারত ও থাইল্যান্ডে অনেকের বিশ্বাস তৈরি হয়েছিলো যে আক্রান্ত হওয়ার পর কুমারী মেয়ে বা যৌন সম্পর্কের কোন অভিজ্ঞতা নেই এমন কারোর সাথে যৌন মিলনে এই ভাইরাস দু�� হয়ে যায়। এটি যে ছোঁয়াচে না সেই ধারনা দুর করতে ১৯৯১ সালে রাজকুমারী ডায়ানা এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারনা। এতে বরং কুমারীরা আক্রান্ত হয়। এই অঞ্চলে এই বিশ্বাসের কারণে কুমারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৬শ শতকে ইউরোপে সিফিলিস ও গনোরিয়া আক্রান্ত হলে একই ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। তবে সেক্ষেত্রেও কুমারীদের সাথে যৌন মিলন কার্যকর নয়। মশা দ্বারা কি এটি ছড়ায়? মশা একই ঘরে থাকা মানুষজনে কামড়াতে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ে যদি অন্য কামড়ায় তাহলেও এটি ছড়াতে পারে সেটি ভুল ধারনা। যৌন মিলনের পর স্নান করলে এইচআইভি ভাইরাস পরিষ্কার হয় এই ধারনাও একেবারেই ভুল। ত্বকের স্পর্শ বা মুখের লালায় এটি ছড়ায় না। যদিও রক্তদ্বারা এই ভাইরাস ছড়ায় কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে মশা বা রক্ত খায় এমন কিট দ্বারা আপনি আক্রান্ত হবেন না। তার দুটি কারণ। একটি হল একজনের শরীর থেকে রক্ত খেয়ে সে সেই রক্ত দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির শরীরে ইনজেকশন দেয়ার মতো করে রক্ত ঢুকিয়ে দেয়না। আর মশা বা অন্য কিটের শরীরে এই জীবাণু খুব সামান্য সময় বেচে থাকে। ওরাল সেক্সে কি এটি হতে পারে? আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ওরাল সেক্স অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এইচআইভি পজিটিভ নারী বা পুরুষের সাথে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু এর হার খুব বিরল। কনডমেও রয়েছে ঝুঁকি কনডম ব্যবহার করলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার কোনই সম্ভাবনা এমন ধারনাও ঠিক নয়। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের সময়ে কনডম ফুটো হয়ে গেলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। আক্রান্ত প্রতি চারজনের একজন ব্যক্তি সেজে আক্রান্ত সেটি জানে না। তাই ইদানীং এর প্রতিরোধ বিষয়ক প্রচারণায় শুধু কনডম ব্যবহারে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে তা নয়, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ব্যাপারেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর আরেকটি কারণ হল আক্রান্ত প্রতি চারজন ব্যক্তির অন্তত একজন জানেননা যে তার এই শরীরে এটি রয়েছে। যাদের সংখ্যা এক কোটি। সে হয়ত নিজের অজান্তে অন্যকে আক্রান্ত করছে। কোন লক্ষণ না থাকলে কি ঘটে? কোন লক্ষণ দেখা না দিলে এইচআইভি আক্রান্ত নন এটিও ভুল ধারনা। এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও একজন ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘ দিন কোন রকমের লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। এভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি দশ থেকে প��েরো বছরও বেঁচে থাকতে পারেন। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর শুরুর কয়েকটি সপ্তাহের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাব দেখা দিতে পারে, হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেবে যখন ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করাই এইচআইভির মুল বিপদ। আক্রান্ত প্রতি চারজনের একজন ব্যক্তি সেজে আক্রান্ত সেটি জানে না। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকলে কাশি, ডাইরিয়া, লিম্ফ নোড বা চামড়ার নিচে ফুলে যাওয়া গোটার মতো দেখা দেবে, ওজন কমে যাবে। চিকিৎসার অভাবে আরও ভয়াবহ অসুখও হতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে সামান্য অসুখেও মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয় যদি তার চিকিৎসা না নেয়া হয় কারণ শরীর তার স্বাভাবিক নিয়ে আর অসুখের সাথে লড়াই করতে পারে না। এইচআইভিতে আক্রান্তরা অল্প বয়সে মারা যায় ইদানীং নানা ধরনের চিকিৎসার জন্য এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিও দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারছেন। জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থা বলছে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৭ শতাংশের ক্ষেত্রে এইচআইভি জীবাণুর মাত্রা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। এমনকি অনেক সময় রক্ত পরীক্ষায়ও জীবাণুটি ধরা পরে না। তবে তারা যদি চিকিৎসায় অবহেলা করেন তবে এর মাত্রা আবার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। জীবাণু নিয়ন্ত্রিত থাকলে আক্রান্ত মা তার শিশুকে আক্রান্ত নাও করতে পারেন। মায়েরা সবসময় শিশুদের আক্রান্ত করে না প্রচলিত ধারনা হচ্ছে আক্রান্ত নারী সন্তান জন্ম দিলে তার শিশুরও শরীরে এই জীবাণু চলে যাবে। কিন্তু সবসময় সেটি নাও হতে পারে। আক্রান্ত মায়ের শরীরের জীবাণুর মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে সন্তান জন্মদানের সময় সে শিশুকে আক্রান্ত নাও করতে পারে। যেভাবে আক্রান্ত হতে পারেন আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সাথে কনডম ব্যবহার না করে যৌন সম্পর্কে স্থাপন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলে, এরকম কারো ব্যবহৃত একই সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করলেও আপনি এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হবেন। এগুলোই সবচাইতে বড় কারণ। তবে ইদানীং রক্ত দেয়ার আগে যেভাবে তা পরীক্ষা হয় তাতে রক্ত গ্রহণে এর সম্ভাবনা কমে আসছে। এর বাইরে অল্প কিছু বিরল কারণ রয়েছে। অন্যান্য খবর: এখন কেন গণফোরামে যোগ দেও��়ার হিড়িক? শেখ তন্ময়কে নিয়ে হইচই, তিনি কতটা জানেন? আশ্রয় পেলেন বিমানবন্দরে আটকে পড়া শরণার্থী", "doc2": "La Journée mondiale de lutte contre le sida est célébrée le 1er décembre de chaque année, et le ruban rouge symbolise la prise de conscience. L'OMS a dénombré près d'un million de personnes mortes de causes liées au VIH dans le monde, en un an. Environ 37 millions de personnes vivent avec le virus - dont 70 % en Afrique - et les infections nouvelles peuvent atteindre 1,8 million de cas par an. Être infecté par le VIH est la seule manière d'attraper le sida. Depuis que la maladie s'est propagée pour la première fois dans les années 1980, toutes sortes d'idées farfelues - sur la façon dont le virus du sida se transmet et ce que c'est que de vivre avec le VIH - ont alimenté les préjugés et la stigmatisation. A l'occasion de la Journée mondiale de lutte contre le sida, nous démystifions certains des mythes les plus courants. Lire aussi: Malawi : un séropositif condamné par la justice Mythe 1 : ''Je peux contracter le VIH en côtoyant des personnes séropositives'' Un test sanguin est nécessaire pour détecter le VIH dans le sang. Cette idée fausse alimente depuis longtemps la discrimination à l'égard des personnes séropositives. Et malgré toutes les campagnes de sensibilisation, en 2016, 20 % des personnes vivant au Royaume-Uni croyaient encore que le VIH pouvait être transmis par le contact avec la peau d'un malade ou la salive. Mais, le virus ne se propage pas par le toucher, les larmes, la sueur, la salive ou l'urine. Vous ne pouvez pas l'attraper par les gestes ci-dessous : En 1991, la princesse Diana a rencontré des patients séropositifs à Londres, afin de dissiper les idées fausses sur la transmission du VIH. Le VIH se transmet par l'échange de liquides organiques avec des personnes infectées, comme le sang, le sperme, les sécrétions vaginales et le lait maternel. Lire aussi: Inquiétudes liées au financement du VIH Mythe 2 : des remèdes peu orthodoxes peuvent guérir le VIH Absolument pas. La médecine alternative, la douche après les rapports sexuels ou les rapports sexuels avec une vierge ne feront rien contre le VIH. Le mythe de la \"purification de la vierge\", qui s'est implanté en Afrique subsaharienne, dans certaines parties de l'Inde et en Thaïlande, est particulièrement dangereux. Elle a conduit au viol de très jeunes filles, et même, dans certains cas, de bébés, les exposant ainsi à un risque d'infection par le VIH. Le mythe aurait ses racines dans l'Europe du XVIe siècle, lorsque les gens ont commencé à attraper la syphilis et la gonorrhée. Cette pratique ne fonctionne pas non plus pour ces maladies. Le VIH ne se transmet pas par le contact avec la peau d'un malade, la salive, le partage d'objets avec un malade ou la piqûre d'un moustique. Quant aux prières et aux rituels religieux, bien qu'ils puissent aider les gens à faire face à des situations difficiles, ils n'ont aucun effet médical sur le virus. Lire aussi: Préservatif de 'mauvaise qualité' au Kenya Mythe 3 : les moustiques peuvent propager le VIH Bien que le virus soit transmis par le sang, plusieurs études montrent que les insectes piqueurs ou suceurs de sang ne permettent pas de l'attraper, pour deux raisons : 1) lorsque les insectes piquent, ils n'injectent pas le sang de la personne ou de l'animal qu'ils ont mordu auparavant ; et 2) le VIH ne vit que peu de temps en eux. Donc, même si vous vivez dans une région où il y a beaucoup de moustiques, où la prévalence du VIH est élevée, les deux choses ne sont pas liées. Lire aussi: Togo : séropositives et stigmatisées Mythe 4 : ''Je ne peux pas contracter le VIH lors de rapports sexuels oraux'' C'est vrai que le sexe oral est moins risqué que certains autres types de sexe. Le taux de transmission est inférieur à quatre cas pour 10 000 actes. Les préservatifs aident à prévenir la transmission du VIH et protègent contre d'autres maladies sexuellement transmissibles. Mais vous pouvez contracter le VIH en ayant des rapports sexuels oraux avec un homme ou une femme séropositive - c'est pourquoi les médecins recommandent toujours l'utilisation de préservatifs, même pour les rapports oraux. Lire aussi: Sida : les financements en chute Mythe 5 : ''Je ne peux pas contracter le VIH si je porte un condom\" Les préservatifs peuvent ne pas prévenir l'exposition au VIH s'ils se brisent, glissent ou fuitent pendant les rapports sexuels. C'est pourquoi les campagnes de lutte contre le sida ne visent pas seulement à inciter les gens à porter la gaine de latex, mais aussi à subir un test de dépistage du VIH - et à recevoir un traitement immédiatement s'ils sont infectés par le VIH. Selon l'OMS, une personne sur quatre qui ont le VIH ne le sait pas - soit 9,4 millions de personnes -, ce qui représente un risque important de transmission. Lire aussi: Sida : des conseillers de Trump démissionnent Mythe 6 : l'absence de symptômes signifie qu'on n'a pas le VIH Une personne peut vivre 10 ou 15 ans avec le VIH et ne présenter aucun symptôme. Les personnes vivant avec le VIH peuvent également souffrir d'une maladie semblable à la grippe, notamment de fièvre, de maux de tête, d'éruptions cutanées ou de maux de gorge au cours des premières semaines suivant l'infection initiale. Une personne sur quatre vivant avec le virus VIH n'en est pas consciente. D'autres symptômes peuvent apparaître au fur et à mesure que l'infection affaiblit le système immunitaire : ganglions lymphatiques gonflés, perte de poids, fièvre, diarrhée et toux. Sans traitement, ils pourraient également développer des maladies graves comme la tuberculose, la méningite à cryptocoques, de graves infections bactériennes et des cancers comme les lymphomes et le sarcome de Kaposi, entre autres. Lire aussi: Sida : une fillette suscite l’espoir Mythe 7 : les personnes vivant avec le VIH mourront jeunes Les personnes qui savent qu'elles sont séropositives et adhèrent au traitement mènent de plus en plus une vie saine. L'ONUSIDA affirme que 47 % de toutes les personnes vivant avec le VIH n'ont plus de charge virale - ce qui signifie que la quantité de VIH dans le sang est tellement faible qu'elle devient \"indétectable\" dans les tests sanguins. Les personnes qui n'ont plus de charge virale ne peuvent pas transmettre le virus non plus, même en ayant des rapports sexuels avec des personnes séronégatives. Cependant, si elles arrêtent le traitement, les taux de VIH peuvent revenir et redevenir détectables. Les femmes qui ont une charge virale faible peuvent avoir des bébés sans leur transmettre le VIH. Selon l'OMS, 21,7 millions de personnes vivant avec le VIH devaient recevoir un traitement antirétroviral en 2017 - contre huit millions en 2010, soit environ 78 % des personnes séropositives étant au courant de leur état sérologique. Lire aussi: Vulindlela, un village ravagé par le sida Mythe 8 : les mères séropositives infecteront toujours leurs enfants Pas nécessairement. Les mères qui ont une charge virale faible peuvent avoir des bébés sans leur transmettre le virus. A regarder: Témoignage de Jeanne Gapiya, figure de la lutte contre le VIH Sida."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47638476", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53411464", "doc1": "নারীর মস্তিষ্কে পর্নোগ্রাফির প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে খুব কমই। \"আমি যখন প্রথম পর্নোগ্রাফি দেখি, তখন আমার বয়স ছিল ১২,\" বললেন নীলম টেলর। এখন তার বয়স ২৪। তার মতো আরো অনেকেই আছে যারা এতো অল্প বয়সেই পর্নোগ্রাফি দেখেছেন। ২০১৬ সালের এক জরিপে দেখা গেছে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের ৫৩% অনলাইনে যৌনতার দৃশ্য দেখেছে। পুরুষদের পর্নোগ্রাফি দেখা নিয়ে অনেক গবেষণা ও জরিপ হয়েছে কিন্তু নারীর ওপর এই পর্নোগ্রাফি কী ধরনের প্রভাব ফেলে সেটা নিয়ে জানা যায় খুব কমই। যৌনতার প্রতি সামান্য কৌতূহল থেকেই শুরু হয়েছিল নীলমের আসক্তি। নীলমের গল্প নীলমের বয়স যখন মাত্র ১১ থেকে ১৬ তখন তিনি বেশিরভাগ দিনই পর্নোগ্রাফি দেখতেন। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তিনি পর্ন সাইটে কাটাতেন অনেক সময়। কোন ছবি ছিল মাত্র ১০ মিনিটের আবার কোন কোন ছবি ছিল এক ঘণ্টার। তার বাবা মা এর কিছুই জানতেন না। \"আমার মনে হয় পর্নোগ্রাফি মানুষকে অনেক বেশি অসংবেদনশীল করে তোলে। পর্নোগ্রাফিতে অনেক সহিংস দৃশ্যও থাকে এবং একটা সময়ে মনে হয় এসব যেন খুবই স্বাভাবিক,\" বলেন নীলম। কীভাবে এটা শুরু হয়েছিল সেটা বলতে গিয়ে নীলম বলেন, \"মনে হয় একটা ছবি দেখার পর এবিষয়ে আমি ��রো কিছু জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলাম। অথবা যৌনতার জন্যে আমার আকাঙ্ক্ষা হয়তো খুব তীব্র ছিল। আমি তখন কিশোর বয়সে ঢুকতে শুরু করেছি। যেসব ছবিতে প্রচুর সেক্সের দৃশ্য আছে আমি সেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে দেখতে শুরু করলাম।\" নীলম বলেন, স্কুলে থাকতেই তিনি পর্নোগ্রাফির কথা শুনেছেন। কিন্তু তিনি এমন একটা স্কুলে পড়তেন যেখানে শুধু মেয়েরাই পড়তো। নীলম টেলর মাত্র ১১ বছর বয়সে পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করেন। \"সবসময় মনে করা হতো যে এসব বুঝি শুধু ছেলেরাই দেখে। এটাই আমার কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমার অনেক লজ্জাও লাগতো কারণ আমার মনে হতো যে আমি একটা অস্বাভাবিক কাজ করছি। মনে হতো মেয়েরা তো এসব দেখে না।\" পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখতেই নীলমের মধ্যে বিশেষ কিছু ভিডিওর ব্যাপারে আগ্রহ বাড়তে শুরু করলো। \"একটা সময় আমি এমন সব ছবি দেখতে লাগলাম যেখানে মেয়েরা অনুগত হয়ে সেটা করছে, কিম্বা তাকে সেক্স করতে জোর করে বাধ্য করা হচ্ছে। অথবা আমি খুঁজে দেখতাম কোন ছবিতে একজন বয়স্ক লোক কম বয়সী মেয়ের সাথে সেক্স করছে। আমি জানতাম না কেন আমি এসব দেখতে চাইতাম। কারণ ওই বয়সে যৌনতার বিশেষ কোন দিকের ব্যাপারে আমার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার কথা না।\" সারাহর গল্প একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে ২৫ বছর বয়সী সারাহরও। \"১৩/১৪ বছর বয়স থেকে আমি পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করি। কম করে হলেও সপ্তাহে দু'বার দেখতাম। আমার মনে হতো যে আমি বুঝি আমার একটা চাহিদা পূরণ করছি।\" \"এক পর্যায়ে আমি এমন ভিডিও দেখতে শুরু করলাম যেখানে ১০ জন পুরুষ মিলে একজন নারীর সাথে সেক্স করছে। অথবা ওই সময় নারীকে চড় মারা হচ্ছে অথবা তাকে অপমান করা হচ্ছে। আমি নিজে সেক্স করার আগেই আমি এসব দেখেছি।\" এখনও সারাহ এসব ভিডিও দেখেন। কিন্তু আগের মতো নয়। কিন্তু তিনি মনে করেন ১০ বছর ধরেও এধরনের ভিডিও নিয়মিত দেখার পর যৌনতার মাধ্যমে চরম তৃপ্তি (অর্গাজম) পাওয়া তার জন্যে খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। পর্নোগ্রাফি ও পুরুষের মস্তিষ্ক পুরুষদের পর্নোগ্রাফি দেখার ব্যাপারে প্রচুর লেখালেখি হয়। বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে কাজ করেছেন। ব্রিটেনে এঞ্জেলা গ্রেগরি নামে একজন ব্রিটিশ যৌন থেরাপিস্ট ২০১৬ সালে বিবিসিকে বলেছিলেন, খুব সহজেই দেখা যায় বলে পুরুষদের মধ্যে যৌন সমস্যার সংখ্যা বাড়ছে। এবিষয়ে চিকিৎসা নিতে তারা ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতেন। তিনি হাসপাতালে কাজ করতেন। ব্রিটিশ একটি দাতব্য সংস্থা তার গবেষণায় বলেছে, ব্রিটেনে যখন ব্রডব্যান্ডের যাত্রা শুরু হলো, ২০০০ সালের দিকে, তখন এই পুরুষদের ২ থেকে ৫% যৌন অক্ষমতার জন্যে পর্নোগ্রাফিকে দায়ী করা হতো। বর্তমানে এই হার প্রায় ৩০%। এটা শুধু শারীরিক অক্ষমতারই কারণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকরা বলছেন, যেসব পুরুষ অল্প বয়সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে তাদের মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যও গড়ে উঠতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের রসায়ন। ব্রিটেনে আরো একজন থেরাপিস্ট থ্যাডিয়াস বির্চার্ড যৌনতায় আসক্তদের চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। \"সাধারণত পর্নোগ্রাফিতে পুরুষদের চিন্তাভাবনাই প্রতিফলিত হয়।\" কখন শুরু হয় দেখা যেসব শিশু তাদের ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সে পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের ৯৪% এসব দেখতে শুরু করে ১৪ বছর বয়স থেকেই। তাদের মধ্যে কিশোর যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনেক কিশোরীও। সাম্প্রতিক কালে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১,০০০ মানুষের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের ৪৭% নারী গত মাসে পর্নোগ্রাফি দেখেছেন এবং ১৪% নারী মনে করেন যে তারা হয়তো পর্নোগ্রাফিতে কিছুটা হলেও আসক্ত। নীলমের বয়স যখন ১৬ তখন তিনি পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করে দেন। তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শরীরের ওপর এর প্রভাবকেই। \"প্রথম ছেলে-বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্ক হওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে আমি শারীরিকভাবে জেগে উঠতে পারছি না। আমার মনে হয় কাউকে উদ্দীপ্ত করার ব্যাপারে পর্নোগ্রাফি একেবারেই অস্বাভাবিক একটি উপাদান। একজন সাধারণ পুরুষ সঙ্গীর পক্ষে সেটা পূরণ করা অসম্ভব।\" তিনি বলেন, পর্নোগ্রাফি দেখা ও বাস্তব জীবনে সেক্স করার সময় তার মধ্যে যে শারীরিক পরিবর্তন ঘটতো তাতেও তিনি একটা পার্থক্য লক্ষ্য করেন। একসময় মনে হতো সেক্স করার আগে আমার হয়তো টয়লেটে গিয়ে পর্নোগ্রাফি দেখতে হবে যাতে আমি একটা উত্তেজনা বোধ করি।\" নীলম মনে করেন না যে তিনি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন। সেরকম হলে তিনি সেসব দেখা বন্ধ করে দিতে পারতেন না। অনেকেই মনে করেন পর্নোগ্রাফি হচ্ছে অস্বাভাবিক যৌনমিলনের দৃশ্য। শরীরের ওপর প্রভাব ২৮ বছর বয়সী হান্নাও মনে করেন যে খুব বেশি পর্নোগ্রাফি দেখলে মানুষের সংবেদনশীলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, এথেকে তার কিছু লাভও হয়েছে। \"আমি একজন সমকামী নারী। আমার বয়স যখন ৮/৯ তখনই আমি বুঝতে পারি যে আমি আসলে নারীদের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হই। কিন্তু লেসবিয়ান পর্নোগ্রাফি দেখার পরেই আমি এবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হই।\" কিন্তু পরে পর্নোগ্রাফির প্রতি হান্নার আসক্তি কেটে যায়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, \"বেশিরভাগ লেসবিয়ান পর্ন হচ্ছে পুরুষদের ফ্যান্টাসি। তারা দেখতে চায় দুজন নারী সেক্স করলে সেটা দেখতে কেমন লাগে,\" বলেন তিনি। ড, লেইলা ফ্রডশ্যাম একজন গাইনোকলজিস্ট। ইন্সটিটিউট অফ সাইকোসেক্সুয়াল মেডিসিনের মুখপাত্রও তিনি। \"আমি ২০ বছর ধরে লোকজনকে চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু আমি এমন কোনো নারীকে পাইনি যিনি বলেছেন যে পর্নোগ্রাফি নিয়ে তার সমস্যা আছে।\" তিনি জানান, এনিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণা হয়েছে ৪৮ জনের উপর। তাতে দেখা গেছে পর্নোগ্রাফির কারণে নারীর শারীরিক উত্তেজনায় তার কোনো প্রভাব পড়েনি। মধ্যপ্রাচ্যে ২০০ নারীর ওপর চালানো আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে পর্নোগ্রাফি দেখলে যৌনমিলনের সংখ্যার কোনো তারতম্য হয় না। তবে দেখা গেছে যে যৌন ইচ্ছা ও শারীরিকভাবে জেগে ওঠার বিষয়ে এই পর্নোগ্রাফির একটা প্রভাব রয়েছে। ফ্রডশ্যাম তিনি বলেন, মানুষের যৌনাঙ্গে নয় বরং তাদের চোখে মুখে যৌনসংক্রান্ত অসুখ বিসুখ ছড়িয়ে পড়েছে- যার অর্থ পর্নোগ্রাফির আরো প্রসার ঘটেছে। তার মতে এটা হয়ে নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এবং খুব অল্প বয়স থেকেই তারা এখন পর্ন দেখছে। এরিকা গার্জা চিকিৎসাও নিয়েছেন। এরিকার গল্প আমেরিকান লেখিকা এরিকা গার্জা মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে সফ্টকোর পর্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। সেটা নব্বই এর দশকের কথা। সেসময় গভীর রাতে টেলিভিশনে এসব দেখানো হতো। তখনও ইন্টারনেটের অতোটা চল ছিল না। \"আমার মেরুদণ্ডে তখন একটা সমস্যা হয়েছিল। সেজন্যে আমাকে একটা ব্রেস পরতে হতো। স্কুলে এটা নিয়ে অনেকে হাসি ঠাট্টা করতো। খুব খারাপ লাগতো আমার। তখন আমি পর্নোগ্রাফি দেখতাম ও হস্তমৈথুন করে সেসব ভুলে থাকতে চাইতাম।\" এরিকা বলেন, \"নারীরা কী কারণে শারীরিকভাবে উত্তেজিত হয় সেবিষয়ে খুব একটা কথাবার্তা বলে না। কারণ তাদেরকে হয়তো খারাপ মনে করা হতে পারে। নারীর এই আকাঙ্ক্ষার কারণেও তার মধ্যে লজ্জা শরম তৈরি হতে শুরু করে। তখন হয়তো তারা পর্নোগ্রাফি দেখতে শুরু করে।\" এরিকা প্রত্যেকদিন পর্নোগ্রাফি দেখতেন না। কিন্তু তিনি মনে করেন তার জীবন ও সম্পর্কের ওপর এই পর্নোগ্রাফির একটা প্রভাব পড়েছে। \"আমি যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি কিম্বা আমার মধ্যে কোন উদ্বেগ কাজ করে তখন আমি পর্নোগ্রাফি দেখি। কিন্তু এটা আমাকে অন্যান্য কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তখন নিজে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। নিজের ব্যাপারে খারাপ লাগতে শুরু করে। মনে হতে শুরু করে যে আমার মধ্যে হয়তো খারাপ কিছু আছে। আমি তখন নিজের ভেতরে লুকিয়ে যাই।\" তিনি জানিয়েছেন যে এই যৌন আসক্তির ব্যাপারে তিনি চিকিৎসাও করিয়েছেন। তিনি বলেন, তার উপর এসব পর্নোগ্রাফির নানা রকম প্রভাব পড়েছিল। তিনি এমন কিছু যৌন দৃশ্যের ব্যাপারে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যা খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। \"যেমন বিছানায় আমার সাথে কেউ খারাপ আচরণ করছে। এমন দৃশ্য যেখানে হয়তো পুরুষরা তাদের চাইতেও অনেক কম বয়সের নারীদের সাথে মিলিত হচ্ছে। তখন আমিও পুরুষের কাছ থেকে সেরকম আগ্রাসী আচরণ প্রত্যাশা করতে শুরু করি।\" তিনি বলেন, পর্নোগ্রাফি দেখার কারণে তার মধ্যে এই ভাবনাও তৈরি হতে শুরু করে যা তার শরীর কেমন হওয়া উচিৎ। এসব দেখার পর তিনি তার শরীরের সব রোম উপড়ে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন। পর্নোগ্রাফি দেখলে কী হয় নীলমের মধ্যে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। বয়স্ক পুরুষের সাথে কম বয়সী নারীর যৌন মিলনের ভিডিও দেখতে দেখতে তিনিও, যখন তার বয়স ১৭,১৮,১৯ তখন তিনিও বয়স্ক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। \"আমি জানি না কেন এরকম হয়েছিল। পর্নোগ্রাফির কারণে নাকি অন্যকিছুর ফলে সেটা আমি বলতে পারবো না,\" বলেন তিনি। \"যখন আমার বয়স কম ছিল সেক্সের কথা মনে হলেই মনে হতো যে আমাকে প্যাসিভ হতে হবে। সেক্স হচ্ছে এমন একটা জিনিস যা কেউ একজন আমাকে নিয়ে করবে। এটা কি সবসময় আমার মধ্যে ছিল নাকি পর্নোগ্রাফি দেখে আমার মধ্যে এটা তৈরি হয়েছিল?\" ২০১০ সালে তিনশোটিরও বেশি পর্নোগ্রাফি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তার ৮৮% জুড়ে আছে শারীরিক আগ্রাসনের দৃশ্য। অনেকে মনে করেন পর্নোগ্রাফি দেখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। ওই একই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরাই সেই আচরণ করছে এবং তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নারী। এবং নারীরা এসব দেখে আনন্দ পাচ্ছে বলেই পর্নোগ্রাফিতে দেখানো হচ্ছে। এধরনের আরেকটি গবেষণায় আগ্রাসনধর্মী পর্নোগ্রাফির কী প্রভাব পড়ছে পুরুষের ওপর সেবিষয়ে সুনি���্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এসব পর্নোগ্রাফির সাথে সহিংসতার সম্পর্ক খুব বেশি নয়। তবে নারীদের ওপর এর কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেবিষয়ে জানা যায় আরো কম। নীলম মনে করেন, এবিষয়ে স্কুলের আরো এগিয়ে আসা উচিত যৌন শিক্ষার ব্যাপারে। \"আমার মনে হয় সেক্স এবং পর্ন স্কুলগুলোতে এখনও একটা ট্যাবু। এসব বিষয়ে মেয়েরা জানতে পারবে হয় স্কুলে কিম্বা পর্নোগ্রাফি থেকে। কিন্তু আমি মনে করি না যে পর্নোগ্রাফি থেকে মেয়েরা ভাল যৌন-শিক্ষা পাবে।\" কিন্তু এরিকা মনে করেন, পর্ন দেখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। এটা হচ্ছে ওয়াইন খাওয়ার মতো। কেউ এক গ্লাস খেয়েই রেখে দেবে আবার অন্য একজনকে হয়তো পুরো বোতলটাই খেয়ে ফেলতে হবে।\" পর্নোগ্রাফি নীলমকে এখন আর আগের মতো আকৃষ্ট করে না। তিনি বলেছেন, কয়েক বছর আগে তিনি এসব আবারও দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আর অতো ভাল লাগেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। হান্না এখনও এসব ভিডিও মাঝে মধ্যে দেখে থাকেন। তবে এসব তিনি বাছাই করে দেখেন। তার মধ্যে রয়েছে দম্পতিদের ঘরে তৈরি ভিডিও যার সাথে বাস্তবতার মিল রয়েছে।", "doc2": "BBC Three s'est entretenu avec des jeunes femmes qui affirment que leurs affaires de viol n'ont jamais abouti devant les tribunaux en raison de la défense basée sur le \"sexe brutal\". Cette défense, qui a été utilisée au tribunal pour justifier la mort ou les blessures d'une personne en prétendant que le sexe \"a mal tourné\", est sur le point d'être interdite aujourd'hui en Angleterre et au Pays de Galles. Aujourd'hui, les députés, les militants et les victimes réclament justice. A lire aussi : Des victimes comme Lucy*, 23 ans. Avant d'arriver au poste de police local, elle dit avoir passé des mois à se demander si elle allait dénoncer son ex violent pour viol. En cherchant sur Internet, elle a lu et fait autant de recherches que possible pour savoir comment se déroulait la procédure en tant que victime. Un résultat de recherche l'a vraiment affectée, elle a lu : La défense du sexe brutal (également connue sous le nom de défense des 50 nuances) est utilisée par certaines personnes accusées d'avoir tué, ou blessé violemment, un partenaire sexuel, qui affirment que la mort ou les blessures subies faisaient partie de rapports sexuels consensuels. Lucy dit qu'elle a dit à l'officier que la principale chose qui l'inquiétait était la défense de \"sexe brutal\" utilisée contre elle au tribunal. \"Ils ont dit de ne pas s'en inquiéter. Ils m'ont donné beaucoup d'espoir. Avant, j'étais tellement préoccupée par le fait de porter l'affaire devant la justice\", a-t-elle déclaré. Sur son téléphone qu'elle a remis à la police, il y avait des vidéos d'elle et de son ex ayant des relations sexuelles. Son ex, dit-elle, était \"obsédé\" par l'idée de se filmer et a menacé de rompre avec elle si elle refusait. \"Avant le viol, on s'était disputés parce que j'avais commenté le post d'un type sur Instagram. Il m'a dit : \"Oh, tu ne dois pas m'aimer si tu penses à d'autres gars\", raconte-t-elle. \"J'ai essayé de m'excuser et nous sommes restés là en silence pendant une éternité. Puis j'ai essayé de partir. Mais il ne voulait pas me laisser partir. Il voulait faire l'amour pendant 4 ou 5 heures d'affilée, comme une punition\", dit-elle. \"Dans la vidéo de cette nuit-là. Je dis : \"Je ne peux pas faire ça, je ne veux pas faire ça\", affirme-t-elle. \"Tu peux l'entendre dire, 'tu dois faire ça avant que je me mette en colère contre toi, fais-le. Je crie littéralement, je pleure, je m'éloigne. Et puis il me frappe très fort\", dit Lucy. A lire aussi : Six mois plus tard, Lucy dit que la police l'a informée qu'elle ne prendrait aucune autre mesure dans son affaire et que celle-ci ne serait pas transmise au ministère public (CPS) en raison de la défense de \"sexe brutal\". \"La police a dit que dans les autres vidéos sur mon téléphone, vous pouviez voir que nous avions déjà eu des relations sexuelles brutales consensuelles et que mon ex n'aurait donc pas su que je ne voulais pas de ça cette fois-là\", explique-t-elle. Leur décision a confirmé la plus grande crainte de Lucy, avant qu'elle ne s'approche d'une salle d'audience. Aujourd'hui, des victimes comme Lucy, des militants et des députés demandent au gouvernement d'exhorter le CPS et les forces de police à revoir toutes les affaires de violence sexuelle qui ont été abandonnées à la suite de la défense de \"relations sexuelles brutales\". L'amendement interdisant la défense de \"sexe brutal\" sera ajouté au projet de loi sur les violences domestiques aujourd'hui, alors qu'il entre dans sa phase de rapport à la Chambre des Communes. La clause ajoutée par le gouvernement exclut le \"consentement à la gratification sexuelle\" comme moyen de défense pour avoir causé un préjudice grave, en Angleterre et au Pays de Galles. Harriet Harman, du parti travailliste, qui a mené les campagnes pour que la loi change, a déclaré à la BBC qu'un examen sérieux des affaires abandonnées en raison de la défense de \"sexe brutal\" est une prochaine étape \"incroyablement importante\" pour le système judiciaire. \"Je cherche à rencontrer le directeur des poursuites publiques parce qu'ils devront donner de nouvelles directives pour les affaires à venir. Je pense qu'ils devraient regarder en arrière - il y a suffisamment de preuves de cas où [le CPS] a pris pour acquis que la défense de \"sexe brutal\" a mal tourné et n'a donc pas été poursuivie\", déclare la député. \"Le système dans son ensemble ne répond pas aux besoins des victimes. Le viol est un crime si grave, un viol d'une femme à la fois physiquement et mentalement, qu'il est important que les accusés soient traduits en justice\", affirme-t-elle. A lire aussi : La possibilité de faire réexaminer leur dossier rétrospectivement pourrait entraîner une nouvelle vague de procès pour les victimes dont le cas n'a jamais été porté devant les tribunaux. Le groupe de campagne \"We Can't Consent To This\" a fait campagne pour que la défense de \"sexe brutal\" soit interdite. Ils ont découvert qu'au cours de la dernière décennie, 60 femmes au Royaume-Uni avaient été tuées par des hommes qui prétendaient que les femmes \"consentent\" à la violence devant les tribunaux. Dans 45 % de ces cas, ils ont constaté que la défense conduisait à des charges moindre, comme l'homicide involontaire ou l'absence de crime. Si la défense de \"sexe brutal\" a généralement été associée aux procès pour meurtre de femmes, comme le meurtre de la randonneuse Grace Millane, elle inclut également les agressions impliquant un préjudice grave. BBC Three a recensé quatre cas en 2020 où le \"consentement à des relations sexuelles brutales\" a été invoqué devant un tribunal pour des accusations de viol et d'agression sexuelle. Et 17 cas au cours des cinq dernières années. Le groupe de campagne \"We Can't Consent To This\" pense que le système judiciaire sera incapable de dire combien d'affaires ont été abandonnées à cause de la défense de \"sexe brutal\". A l'avenir, ils veulent que le CPS et la police commencent à collecter ces données et à signaler tout manquement. \"On ne peut pas nous laisser faire\", ajoutent-ils. Un an avant que Lucy n'apprenne que son affaire de viol était abandonnée en raison de la défense de \"sexe brutal\", elle a reçu un appel téléphonique de la police qui s'inquiétait de sa relation violente. \"Nous ne sommes plus ensemble\", leur dit Lucy en détaillant comment leur relation a commencé. Elle a expliqué qu'au début de leur relation, elle avait plaisanté avec son ex sur le fait de simuler un orgasme. La fois suivante, elle dit : \"Il m'a étranglée jusqu'à ce que je m'évanouisse et m'a dit de ne plus jamais lui mentir, sinon il ferait plus que ça\". Lucy a ensuite déclaré que les violences physiques ont continué - il utilisait le sexe pour voir jusqu'où il pouvait la pousser, en faisant des choses sans son consentement pour voir comment elle réagirait. Lucy dit qu'elle a dû savoir que ce comportement n'était pas correct parce qu'elle a commencé à sauvegarder ses messages Snapchat. \"La police a commencé à faire défiler les messages - c'est comme ça que la conversation sur le viol est apparue\", raconte-t-elle. \"Je vais te violer si tu n'es pas gentille avec moi\", lit-on dans un des messages. Un autre message disait : \"Je peux forcer ton corps à faire tout ce que je veux.\" Deux jours après, quand Lucy dit avoir été violée, elle a reçu un message disant : \"Pas de retour en arrière maintenant que tu as été violée.\" Lucy a alors fait une déclaration à l'équipe des agressions sexuelles. Se sentant trop vulnérable pour faire immédiatement un rapport de viol, elle a porté plainte pour communications malveillantes en raison des messages de menace. Son ex a plaidé coupable, admettant avoir envoyé les messages violents et les menaces de viol. Cela lui a donné la confiance nécessaire pour déposer une deuxième plainte. Lucy dit que la façon dont la police a géré les événements qui ont suivi lui a donné le sentiment d'avoir été violée une fois de plus, \"c'était une énorme atteinte à la vie privée\". \"C'était une énorme atteinte à la vie privée\" \" [La défense du \"sexe brutal\"] est la raison pour laquelle ils n'ont pas poursuivi mon affaire de viol, après que j'ai fait regarder cette vidéo à ce policier et à plusieurs autres de mes relations sexuelles. On ne m'a pas rendu justice\", dit Lucy. Le Centre for Women's Justice, qui aide les femmes à faire appel des décisions prises par le CPS et la police, dit avoir travaillé sur des appels pour de nombreuses affaires de viol qui ont été abandonnées en raison de la défense de \"sexe brutal\". Les victimes ont le droit de faire appel des décisions prises par le CPS ou la police par le biais du programme \"Droit de révision des victimes\" dans un délai de trois mois. Toutefois, ce délai peut être prolongé dans des \"circonstances exceptionnelles\". Le Centre for Women's Justice affirme que si le gouvernement demandait au CPS et à la police de réexaminer toutes les affaires de violence sexuelle abandonnées en raison de la \"défense fondée sur le sexe brutal\", cela permettrait d'accorder les \"circonstances exceptionnelles\" nécessaires aux victimes pour faire appel de leurs décisions. Anna Mazzola, une avocate des droits de l'homme pour le Centre, dit que \"nous voyons de plus en plus le CPS refuser d'engager des poursuites, même quand les dossiers semblent être solides\". \"Il serait très utile que l'examen soit ordonné - il y a certainement un intérêt à examiner toutes les affaires dans lesquelles le CPS ou la police ont décidé de ne pas engager de poursuites au motif que le défendeur pourrait invoquer la défense fondée sur le sexe brutal et à déterminer si ces affaires ont été correctement jugées\", dit-elle. \"Nous sommes conscients de certaines décisions très inquiétantes, mais ce ne sont que des cas qui nous sont parvenus, il est donc tout à fait possible que beaucoup de ces affaires passent inaperçues\", explique l'avocate. Le CPS a déclaré que le fait de prétendre qu'une victime avait \"consenti\" à une agression ne l'empêche pas d'engager des poursuites : \"La lutte contre la violence à l'égard des femmes et des filles est depuis longtemps une priorité du CPS, et nous y restons fermement attachés\". Il y a trois ans, Ella* a reçu un courriel de la police l'informant de la décision du CPS concernant sa plainte pour agression sexuelle. \"L'avocat n'est pas convaincu qu'il puisse être prouvé au-delà de tout doute raisonnable que le suspect ne croyait pas raisonnablement que vous étiez consentante à cet acte sexuel\", était-il écrit. Ella dit cette phrase l'a touchée directement. Contrairement à Lucy, Ella n'avait jamais rencontré l'agresseur présumé avant cette nuit-là - ils avaient convenu de se rencontrer pour boire un verre après avoir discuté sur un site de rencontre. Ella a dit qu'au début, le rendez-vous se passait bien, jusqu'à ce que l'attaque terroriste du London Bridge se produise et que tous ses trains de retour à la maison soient annulés. Son rendez-vous lui a proposé de l'accueillir et elle a accepté. \"Je me sentais coincée\", se souvient-elle. Après qu'ils aient commencé à avoir des rapports sexuels consensuels, Ella dit qu'il a commencé à l'agresser violemment. \"Il m'a étranglée. J'étais couverte de bleus, sur tout mon cou, mon corps, mes jambes. Après, j'étais allongée là et je me souviens avoir pensé que quelque chose de vraiment énorme venait de se passer...\", témoigne-t-elle. Elle dit qu'en rentrant à son appartement, elle s'est complètement effondrée et a raconté à ses amis ce qui s'était passé. Ne se sentant pas prête à le signaler, on lui a conseillé d'aller voir son médecin généraliste pour qu'il puisse photographier et documenter ses nombreuses contusions et blessures. En parlant de cet été-là, Ella dit : \"Après, je n'étais pas bien mentalement. J'étais une vraie épave, je pleurais tout le temps, très anxieuse. J'ai donc décidé de le signaler\". Un officier de police en uniforme est arrivé à sa porte. Elle dit que l'une des premières choses qu'il a mentionnées a été \"le sexe brutal\", suivi de questions sur son intérêt pour le BDSM - un acronyme utilisé pour décrire des actes sexuels tels que l'esclavage, la discipline et la domination entre autres. \"C'est comme si vous disiez que vous ne connaissez pas la différence entre une agression sexuelle et une relation sexuelle brutale. C'est tellement rabaissant pour vos sentiments et le fait que vous êtes vraiment traumatisé par ce qui s'est passé\", dit Ella. \"S'il était accusé et condamné, il y aurait une sorte de fin et de justice pour moi. Je devrai vivre avec ça pour le reste de ma vie\", déclare-t-elle. L'année dernière, la BBC a révélé que 37% des femmes britanniques de moins de 40 ans avaient été giflées, étranglées, bâillonnées ou reçu du crachat lors de rapports sexuels consensuels. Près de deux tiers ont déclaré avoir subi une strangulation non consensuelle lors de rapports sexuels. Les militants qui se sont exprimés à ce sujet affirment que les résultats sont alarmants et montrent que les actes de violence non consensuels lors de rapports sexuels deviennent comme normaux. Silva Neves, psychothérapeute accréditée, affirme que les gens ont souvent des relations sexuelles brutales en toute sécurité et souligne l'importance du consentement dans le BDSM. \"L'idée fausse la plus courante sur le BDSM est qu'il s'agit d'une pratique qui fait mal. Consensuel signifie que toutes les parties impliquées communiquent exactement ce qu'elles veulent faire et cherchent à obtenir l'accord explicite des autres pour s'assurer que toutes les personnes impliquées sont dans les mêmes dispositions, et en sachant que le consentement peut être modifié à tout moment si quelque chose cesse de faire du bien\", explique-t-elle. \"Si les gens ont des blessures importantes après un acte sexuel, cela signifie qu'ils n'ont pas pratiqué le BDSM correctement, ou qu'ils ont déguisé une mauvaise conduite sexuelle sous le couvert du BDSM, ce qui est inacceptable\", dit-elle. Avant de rencontrer son ex, Lucy dit qu'elle n'avait jamais eu de relations sexuelles brutales ou été étranglée. \"Ce n'est pas quelque chose que j'aime\", ajoute-t-elle. Lorsqu'une ordonnance de restriction contre son ex a été refusée, le stress de Lucy a été tel qu'il a affecté sa vie professionnelle. \"J'ai littéralement l'impression que c'est moi qui ai fait l'objet d'une enquête. Cela m'a tellement marqué que j'y pense tout le temps, même maintenant\", dit-elle. En Angleterre et au Pays de Galles, seulement 1,7% des viols signalés font l'objet de poursuites, selon les statistiques du ministère de l'Intérieur. Les organisations caritatives avertissent que le nombre officiel de rapports d'agressions sexuelles n'est qu'une fraction du nombre réel, arguant que les viols sont encore très peu signalés. Genevieve Reed, avocate au barreau de Red Lion Chambers, affirme que la modification de la loi sur les violences domestiques pourrait \"garantir que des accusations appropriées soient portées\" mais qu'il est \"peu probable que cela change l'issue des procès lorsque les accusés maintiennent cette défense\". Une question clé que le jury doit déterminer est : quelle était l'intention de l'accusé ?\" Ella et Lucy veulent toutes deux que le gouvernement veille à ce que leur dossier, et celui d'autres personnes de ce type, soit examiné - avec l'espoir que cette fois-ci, il passe devant les tribunaux. \"Je ne comprends pas comment la police peut regarder une vidéo comme celle-là et décider qu'il ne s'agit pas d'un viol\", dit Lucy. Une déclaration du CPS a souligné qu'il existe déjà une disposition dans le cadre du \"droit de révision des victimes\" pour les cas au-delà des trois mois à considérer dans des circonstances exceptionnelles. Le chef de police adjoint Sarah Crew, responsable des infractions de viol et d'agression sexuelle au Conseil des chefs de la police nationale, a déclaré : \"Le viol est un crime horrible qui laisse un impact dévastateur sur les survivants. Nous sommes déterminés à les aider à obtenir justice et à rendre nos communautés plus sûres\". \"Accepter d'avoir des \"relations sexuelles brutales\" n'équivaut pas à consentir à être violé, et ne doit pas être perçu comme diminuant le caractère ou la crédibilité d'une victime. Dès le début de chaque enquête, la police s'efforce d'identifier et de remettre en question ces mythes et stéréotypes. Nous travaillons actuellement avec le CPS pour offrir une formation actualisée sur cette question aux enquêteurs et aux procureurs\" a-t-elle déclaré. \"J'espère et j'attends des survivants qu'ils constatent que la police a fait tout son possible pour monter un dossier aussi solide que possible, mais je les encourage à utiliser le système de droit de regard des victimes s'ils souhaitent toujours contester les décisions de la police ou du CPS\", dit-elle. Le ministère de la justice n'a pas précisé s'il allait demander au système judiciaire de réexaminer les affaires. *Nous avons changé les noms de Lucy et Ella pour protéger leur identité. Illustrations de Parys Gardener."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49814839", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49723753", "doc1": "বরিস জনসনের পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল এ নিয়ে মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে বল��ছেন, ওয়েস্টমিনিস্টার সংসদের দুটি কক্ষের অধিবেশন স্থগিত করার আদেশটি তাই বাতিল বলে বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন বিচারকের একটি বিশেষ প্যানেল সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে মি. জনসন পাঁচ সপ্তাহের জন্য সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তার সরকারের নতুন নীতিমালা সংসদে রানির ভাষণের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এই সময়টুকু প্রয়োজন বলে সে সময় তিনি যুক্তি দেখান। এই রায় দেয়ার সময় আদালত যেসব আইনগত দিক বিবেচনা করেছে তার প্রধান দিকগুলো এখানে তুলে ধরা হলো: রানিকে পরামর্শ দেয়ার বৈধতা পার্লামেন্ট স্থগিতের প্রশ্নে রানিকে যে পরামর্শ দেয়া দেয়া হয়েছিল তার বৈধতা বিচার করার অধিকার আদালতের রয়েছে কি না, তাই ছিল এই মামলার মূল বিবেচ্য বিষয়। আদালত মনে করছে, এই প্রশ্নে মীমাংসা করার অধিকার তার রয়েছে। রায় ঘোষণা করছেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল। সম্পর্কিত খবর: সুপ্রিম কোর্টের রায়: 'পার্লামেন্ট স্থগিত অবৈধ' লেডি হেইল তার রায় উল্লেখ করছেন, কয়েক শতাব্দী ধরে সরকারের কাজের আইনগত বৈধতা বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। ১৬১১ সালে তৎকালীন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রাজাও আইনের বাইরে যেতে পারেন না বলে আদালত মনে করে। সংসদীয় গণতন্ত্রের কার্যকারিতা সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলছে, আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে, তার আগে দীর্ঘ সময় ধরে সংসদ স্থগিত রাখা হয়েছে যার প্রভাব পড়েছে সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর। এই বিষয়টিও আদালত বিবেচনা করেছে। আদালত তার রায়ে বলছে, এসব পরিবর্তন নিয়ে পার্লামেন্ট, বিশেষভাবে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে হাউস অফ কমন্স-এর কথা বলা অধিকার রয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারার ওপর তাই সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল চরম। স্থগিতাদেশের পক্ষে যুক্তিহীনতা আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, পার্লামেন্টের অধিবেশনের স্থগিতাদেশের পেছনে যুক্তিগুলো সরকারপক্ষ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। রানির ভাষণের প্রস্তুতির জন্য যেখানে নিয়ম-মাফিক চার থেকে ছয় দিনের প্রয়োজন হয়, সেখানে পাঁচ সপ্তাহ আগে কেন সংসদ স্থগিত করার প্রয়োজন হলো তার কোন ব্যাখ্যা সরকারের কাছে ছিল না। ওয়েস্টমিনস্টার, ব্রিটেনের সংসদ। পাশাপাশি, সংসদ স্থগিত করা এবং অধিবেশনের ছুটির বিষয়টিও নিয়েও কো��� ব্যাখ্যা নেই বলে লেডি হেইল রায়ে উল্লেখ করেন। সে কারণেই আদালত মনে করছে, রানিকে সংসদ স্থগিত করার সরকারি পরামর্শটি ছিল বেআইনি যার ফলে সংসদ তার ওপর ন্যস্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায়নি। সংসদের বাইরে থেকে চাপানো সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল তার রায়ের এক জায়গায় বলছেন, সরকার যুক্তি দেখাচ্ছে যে সংসদ স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি সংসদের নিজস্ব ব্যাপার এবং ১৬৮৮ সালের নাগরিক অধিকারের সনদ অনুযায়ী এ নিয়ে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারে না। কিন্তু লেডি হেইল বলেন, অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি বাইরে থেকে সংসদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি সংসদের কার্যক্রমের অংশ ছিল না। সংসদ সদস্যরা এই প্রশ্নে কোন ধরনের আলোচনা বা ভোটদানের সুযোগ পাননি বলে তিনি রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন। আদালতের বাইরে মি. জনসনের একজন বিরোধী। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: 'টয়লেট নিয়ে' বিড়ম্বনায় নরেন্দ্র মোদী ও বিল গেটস বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া টাকা উদ্ধার মাংসপেশিতে টান পড়লে কী করবেন এর পর কী ঘটতে পারে? ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট বলছে, পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্তটি সংসদ এবং বিশেষভাবে স্পিকারকেই নিতে হবে। অন্য কোন বাধা না থাকলে অতি দ্রুত পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের অধিবেশন চালু করা যায়। লেডি হেইল তার রায়ের পক্ষে যুক্তি দেখান এই বলে যেহেতু স্থগিতাদেশটি ছিল অবৈধ, তাই সংসদের অধিবেশন স্থগিত হয়নি বলে বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক প্যানেলের ১১ জন সদস্যই এই প্রশ্নে একমত বলে তিনি রায়ে উল্লেখ করেন।", "doc2": "Raymond McCord est l'auteur de la plainte contre la suspension du parlement Cette suspension a été vivement critiquée par ses opposants comme une manoeuvre visant à imposer un Brexit sans accord. A 44 jours du divorce prévu avec l'Union européenne, le scénario d'un Brexit sans accord reste ouvertement envisagé par Boris Johnson. Une majorité de députés s'oppose à une sortie sans accord de l'UE et veut annuler la suspension du Parlement, jusqu'au 14 octobre. Brexit: rejet de l'accord et après ? Royaume-Uni : l'avenir des citoyens de l'UE Cela dans le but d'avoir plus de temps pour bloquer un « no deal ». Ils ont déjà réussi à voter une loi obligeant Boris Johnson à demander à l'UE un report de trois mois du Brexit, prévu le 31 octobre. Sous le feu des critiques de la classe politique comme de la société civile, la prorogation du Parlement a fait l'objet de plusieurs actions en justice aux verdicts opposés. Le Royaume-Uni débute aujourd'hui son retrait de l'Union européenne. Si, à l'issue de ce nouvel épisode dans la saga chaotique du Brexit, la Cour suprême juge la suspension illégale, le Parlement sera immédiatement rappelé, selon les experts en droit. Le 11 septembre, la plus haute instance civile d'Ecosse a jugé la suspension « illégale » car elle avait selon elle pour objectif « d'entraver le Parlement ». Au contraire, la Haute Cour de Londres a refusé de se prononcer sur le fond, estimant que la prorogation -- décision « politique » -- ne relevait pas des tribunaux."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49447406", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49442100", "doc1": "সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনা রাজ্যে, পাশাপাশি মাতো গ্রোসো ডো সুল এলাকাতে। তবে, হ্যাশট্যাগ #PrayforAmazonas ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে আগুনের যেসব ছবি শেয়ার করা হয়েছে বা এই আগুনের যেসব ছবি আপলোড করা হচ্ছে, সেগুলো কয়েক দশকের পুরনো বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং অনেক ছবি আদৌ ব্রাজিলেরই নয়। তাহলে আসল পরিস্থিতিটা কেমন আর সেই পরিস্থিতি আসলেই কতটা খারাপ? এ বছর আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে অনেক বেশি ব্রাজিলে আমাজনের উষ্ণমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে ২০১৯ সালে ব্রাজিলিয়ান স্পেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী রেকর্ডসংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। দ্য ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলছে তাদের উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৮-র একই সময়ের তুলনায় এবছর আগুন লাগার ঘটনা ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি হিসাব বলছে এবছরের প্রথম আট মাসে ব্রাজিলের জঙ্গলে ৭৫ হাজারের বেশি দাবানল হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুরো ২০১৮ সালে বনাঞ্চলে মোট আগুন লাগার সংখ্যা ছিল ৩৯,৭৫৯। শুকনো মৌসুমে আমাজনের জঙ্গলে দাবানল একটা প্রচলিত ঘটনা। সেখানে শুকনো মরশুমের সময়কাল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। এই দাবানল তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে, যেমন বাজ পড়লে। কিন্তু কৃষক এবং কাঠুরেরাও ফসল উৎপাদনের জন্য অথবা পশু চরানোর জন্য জমি পরিষ্কার করার কারণে জঙ্গলে আগুন দিয়ে থাকে। আন্দোলনকারীরা বলছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর পরিবেশ বিরোধী কথাবার্তা এভাবে জঙ্গল সাফ করার কাজকে আরো উৎসাহিত করেছে। এর জবাবে, মি: বলসোনারো এর দায় চপিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপরে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তিনি বলেছেন বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নিজেরাই এই আগুনগুলো লাগিয়েছে। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে এই দাবানল বন্ধ করার মত সম্পদ সরকারের হাতে নেই। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেশটির উত্তরাঞ্চলে। রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনাস্ সব এলাকাতেই গত চার বছরের (২০১৫-২০১৮) তুলনায় গড়ে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অ্যামাজনের ধোঁয়া ঢেকে দিয়েছে বহুদূরের আরেক শহর ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানল পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অতিরিক্ত উষ্ণতা রোরাইমাতে দাবানলের ঘটনা বেড়েছে ১৪১%, রনডোনিয়াতে ১১৫% এবং আমাজোনাস্-এ ৮১%। দক্ষিণে মাতো গ্রোসো ডো সুল রাজ্যে আগুন লাগার হার বেড়েছে ১১৪%। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় রাজ্য আমাজোনাস্ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। জ্বলন্ত আগুন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া ও কার্বন নির্গত হচ্ছে আগুন থেকে কুণ্ডলি পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া আমাজনের গোটা এলাকা জুড়ে এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (ক্যামস্) তথ্য অনুযায়ী এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিকের উপকূল পর্যন্ত। এমনকি ২০০০ মাইলেরও (৩,২০০ কিমি) বেশি দূরে সাও পাওলোর আকাশ এই ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। ব্রাজিলের পারার মত কোন কোন জায়গায় এধরনের দাবানল কয়েক একর জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এই আগুন থেকে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে, যার পরিমাণ এবছর ২২৮ মেগাটনের সমপরিমাণ দাঁড়িয়েছে। ক্যামস্ সংস্থাটি বলছে এই পরিমাণ ২০১০-এর পর সবচেয়ে বেশি। এই ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইডও নির্গত হচ্ছে। কাঠ পোড়ালে সচরাচর এই গ্যাস নির্গত হয়। ক্যামস্ যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে খুবই চড়া মাত্রায় বিষাক্ত এই গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ছাড়িয়ে এখন আরও দূরে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাজন অরণ্যাঞ্চলে তিরিশ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। সেখানে বসবাস করেন ১০ লাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষ। এই বনাঞ্চল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিশাল অরণ্যাঞ্চলের গাছপালা প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ান টন কার্বন শুষে নিয়ে বিশ্বের উষ্ণায়ন মোকাবেলা করে। কিন্তু গাছ যখন কাটা হয়, অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তখন যে কার্বন গাছের মধ্যে সঞ্চিত থাকে তা বায়ুমণ্ডলে আবার মিশে যায় এবং উষ্ণমণ্ডলীয় এসব বৃক্ষের কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই আগুনের প্রভাব পড়েছে আরও যেসব দেশে ৭.৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত আমাজন বেসিনের আরও বেশ কিছু দেশ এ বছরের ব্যাপক দাবানলের কবলে পড়েছে। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক আগুনের ঘটনা ঘটেছে ভেনেজুয়েলায়। সেখানে দাবানল হয়েছে ২৬ হাজারটি। তৃত��য় স্থানে রয়েছে বলিভিয়া যেখানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১৭ হাজারের বেশি। বলিভিয়া সরকার দেশের পূর্বাঞ্চলে দাবানল নেভানোর কাজে সহায়তা করার জন্য একটি বিমানের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ভাড়া করেছে। প্রায় ছয় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বলিভিয়ার বনাঞ্চল। ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জরুরিকালীন কর্মী। এবং আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পশুপাখিদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন লুসি রজার্স, নাসোস স্টাইলিয়ানু এবং মাইক হিলস্। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জুম্মার নামাজের পরেই বিক্ষোভ, সংঘর্ষ বাবাকে হত্যা করেও রাশিয়ানদের হৃদয় ছুঁয়েছে তিন বোন 'ইন্ধনদাতা এনজিওগুলোর তালিকা করছে বাংলাদেশ'", "doc2": "Les incendies en Amazonie ont augmenté de 84 % en raison de la déforestation croissante, selon l'agence brésilienne de recherche spatiale. L'Institut national de recherche spatiale (Inpe) a déclaré que ses données satellitaires montraient une augmentation de 84% par rapport à la même période en 2018. Cela arrive quelques semaines après que le président Jair Bolsonaro ait limogé le directeur de l'agence au milieu de querelles au sujet de ses données sur la déforestation. La plus grande forêt tropicale humide du monde, l'Amazonie est un réservoir de carbone vital qui ralentit le rythme du réchauffement climatique. Elle abrite également environ trois millions d'espèces de plantes et d'animaux et un million d'Indiens. Lire aussi : La déforestation ralentit, mais reste préoccupante Comment le changement climatique affectera l'Afrique en 2050 Les écologistes ont estimé que M. Bolsonaro était responsable de la situation en Amazonie, disant qu'il a encouragé les bûcherons et les agriculteurs à défricher la terre, et les scientifiques disent que la forêt tropicale a subi des pertes à un rythme accéléré depuis son arrivée en fonction en janvier. Pendant ce temps, l'agence spatiale américaine Nasa a déclaré que l'activité globale des feux dans le bassin amazonien était légèrement inférieure à la moyenne cette année. L'agence a déclaré que si l'activité avait augmenté en Amazonas et en Rondonia, elle avait diminué dans les États du Mato Grosso et du Pará. Il a été signalé précédemment qu'une panne de courant lundi dans la ville de São Paulo - à plus de 2 700 km de là - avait été causée par la fumée des incendies de l'Amazonie. Mais certains météorologues disent que la fumée provient d'incendies majeurs qui ont brûlé au Paraguay, qui est beaucoup plus près de la ville et non dans la région amazonienne. A regarder : L'homme qui aide à sauver les mangroves du Sénégal Pourquoi y a-t-il des incendies en Amazonie ? Les incendies de forêt se produisent souvent pendant la saison sèche au Brésil, mais ils sont aussi déclenchés délibérément dans le but de déboiser illégalement des terres pour l'élevage du bétail. L'Inpe a déclaré avoir détecté plus de 74 000 incendies entre janvier et août - le nombre le plus élevé depuis le début des relevés en 2013. Il a déclaré avoir observé plus de 9 500 feux de forêt depuis jeudi, principalement dans la région amazonienne. L'Inpe a déclaré avoir détecté plus de 72 000 incendies jusqu'à présent cette année. En comparaison, il y en avait eu un peu plus de 40 000 dans la même période de 2018, selon l'organisme. Cependant, la pire année a été 2016, avec plus de 68 000 incendies au cours de cette période. Les images satellites ont montré l'État le plus septentrional du Brésil, Roraima, couvert de fumée noire, tandis que l'Amazonas voisin déclarait une situation d'urgence à cause des incendies. M. Bolsonaro a balayé les dernières données en disant que c'était la \"saison de la queimada\", quand les agriculteurs utilisent le feu pour défricher la terre. \"On m'appelait Capitaine Tronçonneuse. Maintenant, je suis Néron, mettant le feu à l'Amazonie\", a-t-il déclaré, cité par l'agence de presse Reuters. Lire aussi : Cinq actions pour limiter le réchauffement planétaire Plutôt viande ou légumes ? L'impact climatique de vos aliments Plus tard, il a semblé suggérer que des organisations non gouvernementales avaient allumé des feux, pour se venger de son gouvernement qui avait opéré des coupes drastiques dans leur financement. Il n'a présenté aucune preuve et n'a donné aucun nom à l'appui de cette théorie, affirmant qu'il n'y avait \"aucun document écrit sur les soupçons\". \"Donc, il pourrait y avoir..., je ne l'affirme pas, une action criminelle de la part de ces 'ONG' pour attirer l'attention sur ma personne, contre le gouvernement du Brésil. C'est la guerre à laquelle nous sommes confrontés \", a-t-il déclaré dans un Facebook Live mercredi. L'Inpe a noté que le nombre d'incendies n'était pas conforme à ceux normalement signalés pendant la saison sèche. \"Il n'y a rien d'anormal dans le climat de cette année ou dans les précipitations dans la région amazonienne, qui sont juste un peu en dessous de la moyenne \", a déclaré à Reuters Alberto Setzer, chercheur à l'Inpe. M. Bolsonaro a été critiqué pour sa politique environnementale. \"La saison sèche crée les conditions favorables à l'utilisation et à la propagation du feu, mais allumer un feu est l'œuvre de l'homme, soit délibérément, soit par accident.\" Ricardo Mello, responsable du Programme Amazonie de WWF, a déclaré que les incendies étaient \"la conséquence de l'augmentation de la déforestation observée dans les chiffres récents\". Pourquoi critique-t-on Bolsonaro ? Les informations faisant état d'une recrudescence des incendies de forêt s'accompagnent de critiques à l'encontre de la politique environnementale de M. Bolsonaro. Les scientifiques affirment que l'Amazonie a subi des pertes à un rythme accéléré depuis l'entrée en fonction du président en janvier, avec des politiques favorisant le développement plutôt que la conservation. A regarder : Le Brésil a choisi la voie de l'extrême droite. Au cours de la dernière décennie, les gouvernements précédents avaient réussi à réduire la déforestation grâce à des mesures prises par des organismes fédéraux et à un système d'amendes. Mais M. Bolsonaro et ses ministres ont critiqué les sanctions et ont encouragé une diminution des confiscations de bois et des condamnations pour des crimes environnementaux. Le mois dernier, le président d'extrême droite a accusé le directeur de l'Inpe de mentir sur l'ampleur de la déforestation en Amazonie et de tenter de saper le gouvernement. Cela fait suite à la publication par l'Inpe de données montrant une augmentation de 88% de la déforestation en juin par rapport au même mois de l'année précédente. Le directeur de l'agence a par la suite annoncé qu'il était licencié au milieu de cette polémique. L'Inpe a déjà insisté sur le fait que ses données sont exactes à 95 %. La fiabilité de l'agence a également été défendue par plusieurs institutions scientifiques, dont l'Académie des sciences du Brésil. A écouter : Batio Bassière : \"Nos Etats sont confrontés aux effets néfastes du changement climatique\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51747822", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region/2014/08/140827_ebola_nigeria_fermeture_ecoles", "doc1": "করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইটালিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী একমাস ইটালিয়ান ফুটবল লিগসহ সব ধরণের খেলা দর্শক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইটালিতে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইটালিতে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৩২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তে সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি, যাদের বেশিরভাগই চীনে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮১টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে চীন, ইটালি, ইরান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস বিস্তার���র কারণে ইটালির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে কার্যত কোন ক্রেতা নেই। ইটালির পর্যটন শিল্পে ৬৫০ কোটি ইউরো ক্ষতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। দেশটির মিলান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। পুরো দেশ থেকে এ শহরকে কার্যত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ইটালির শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষার্থীরা দ্রুত শ্রেণীকক্ষে ফিরে যেতে পারবে। তিনি বলেন, দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের কাছে যাতে সব সুবিধা পৌঁছে দেয়া যায় সে চেষ্টা করা হবে। ইটালির গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্কুল বন্ধ করে দেবার পক্ষে। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইটালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ থেকে ৫৬তে উন্নীত হয়েছে, যার বেশিরভাগই মিলান এবং ভেনিসের আশপাশে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইটালির সরকার সিনেমা হল, থিয়েটার এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবার কথা ভাবছে। এছাড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা এবং করমর্দন করা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।", "doc2": "Coulibaly Daouda, directeur du département d'epidemiologie à l'institut de santé publique du Nigeria à Abuja, brandit une brochure de prévention contre Ebola La rentrée des classes était prévue pour lundi prochain. Toutefois, mardi, le ministère de l’Education a annoncé la fermeture de toutes les écoles du pays jusqu’en octobre, afin d’avoir le temps de former correctement le personnel éducatif sur les mesures de prévention contre Ebola. \"Les commissions régionales d’Education nationale doivent immédiatement organiser la formation par des personnels de santé d’au moins deux employés de chaque école, publique ou privée, afin qu’ils sachent comment gérer les cas suspects d’Ebola d’ici le 15 septembre 2014\", a précisé le ministre de l’Education Ibrahim Shekarau. \"Il faut également sensibiliser tous les employés des écoles aux mesures de prévention contre Ebola\", a-t-il ajouté. Plus qu’un cas confirmé au Nigeria L’épidémie d’Ebola a atteint le Nigeria en juillet, lorsqu’un voyageur contaminé du Sierra Leone est arrivé à Lagos. Des quatre pays affectés par cette épidémie, le Nigeria est celui qui est le moins touché. Cinq personnes sont mortes d’Ebola dans le pays tandis qu’en Sierra Leone, en Guinée et au Liberia, Ebola a causé la mort de plus de 1 400 personnes. Le gouvernement nigérian espère que ses efforts pour contenir l’épidémie vont continuer à porter leurs fruits. En effet, il n’y a plus qu’un cas confirmé d’Ebola dans le pays."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51994221", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51869905", "doc1": "বাংলাদেশে আরো ৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ জন। তবে এরই মধ্যে মোট পাঁচজন সুস্থ হয়ে যাওয়ায় এবং আক্রান্তদের দু'জন মারা যাওয়ায় এই মুহুর্তে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। সর্বশেষ তিনজন আক্রান্তের মধ্যে একজন মহিলা, দু'জন পুরুষ। তাদের মধ্যে দুই জন সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাদের একজনের বয়স চল্লি��ের ঘরে, একজন ত্রিশের ঘরে এবং একজনের বিশের ঘরে। নতুন আক্রান্ত দু'জনের মধ্যে একজনের কো-মরবিডিটি বা একাধিক প্রাণঘাতী ব্যাধির উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান আইডিসিআরের পরিচালক। আইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান নিয়ম অনুযায়ী পরপর দু'টি পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ায় দু'জনকে আজ ছেড়ে দেয়া হবে। \"মোট আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন আগেই সুস্থ হয়েছেন। আরো দু'জন আজ চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ এখন দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন।\" ''কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে বলা যাবে না' আইডিসিআরের পরিচালক জানান ভাইারাস এখনো কমিউনিটির মধ্যে ছড়িয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। \"কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিউমোনিয়া রোগীদেরও আমরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করি। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে আমরা বলতে পারবে না কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা।\" রবিবার মধ্যরাতে সিলেটে মারা যাওয়া নারী করোনাভাইরাসে আব্রান্ত ছিলেন কিনা, তার পরীক্ষা চলছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। \"ঐ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে যেহেতু সম্দেহ করা হচ্ছিল যে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাই প্রটোকল অনুসরণ করেই তার সৎকার করা হয়েছে।\" এছাড়া মিরপুরে গতকাল (শনিবার) মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহে কীভাবে করোনাভাইরাস এসেছে সেবিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। \"ঐ ব্যক্তি রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার ১৪ দিন আগে থেকে কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন আমরা সেসব তথ্য নিচ্ছি। তিনি যেসব জায়গায় গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ও যাচাই করছি।\" তিনি জানান এভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তারা সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যেন পরবর্তী সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়। আইডিসিআরের পরিচালক বলেন শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানবে না। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কী? ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। সেসময় তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। এরপর ১৪ই মার্চ শনিবার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো দু'জনের মধ্যে করোনাভ��ইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানান। পরবর্তীতে সোমবার তিনজন এবং মঙ্গলবার আরো দু'জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় আক্রান্তদের সবাই বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এরপর ১৮ই মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। গতকাল (শনিবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মারা যাওয়া দু'জনের বয়সই ৭০ এর বেশি ছিল। শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৪ জন। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস", "doc2": "L'hôpital Fann où les malades sont traités Toutes avaient été en contact avec un patient existant qui avait voyagé d'Italie vers son domicile avant d'être testé positif cette semaine.Certains des patients nouvellement infectés seraient des parents de cet homme - un sénégalais qui a été diagnostiqué mercredi.Cela porte à 10 le nombre total de cas de coronavirus dans le pays.Deux d'entre eux ont contracté le virus mais y ont survécu, indique le ministère de la santé, tandis que les huit autres \"sont toujours sous traitement\" . L'Italie est de très loin le pays le plus touché par le coronavirus Covid-19 en Europe et le deuxième au monde, avec plus de 1000 morts et près de 15 000 cas positifs."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53788641", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53992581", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কারণেই প্রতি চার বছর পরপর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘনিয়ে আসে, তখন এর ফলাফল কী হবে তা নিয়ে সারা পৃথিবীতেই তৈরি হয় ব্যাপক আগ্রহ। তবে এটাও ঠিক যে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা ঠিক কীভাবে কাজ করে তা অনেকেই হয়তো পুরোপুরি বুঝতে পারেননা। এমনকি বিবিসির সংবাদ বিভাগে আমরা যারা কাজ করি - তাদেরও সবসময় মাথায় রাখতে হয়, ইলেকটোরাল কলেজ কীভাবে কাজ করে বা 'ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট' কাকে বলে - এসব বিষয়গুলো। এ কারণেই আমরা তৈরি করেছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এই সরল গাইড - যাতে যিনি প্রথমবার ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছেন তার একটু সুবিধে হয়। আর যারা অভিজ্ঞ, তারাও এই সুযোগে তাদের জানা বিষয়গুলোকে নত��ন করে একবার ঝালিয়ে নিতে পারেন। নির্বাচন কবে হবে? প্রার্থী কারা? আমেরিকায় নির্বাচন হয়ে থাকে প্রতি চার বছর পরপর, এবং সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর যে মঙ্গলবার পড়ে - সেদিনই হয় ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের রানিং মেট হলেন কামালা হ্যারিস সবসময়ই এভাবেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়ে আসছে এবং সেই হিসেবে এবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩রা নভেম্বর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি অন্য অনেক দেশের চাইতে বেশ আলাদা। এখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে প্রভাবশালী দল মাত্র দুটি। কাজেই প্রেসিডেন্ট প্রায় সব সময়ই এই দুটি দলের কোন একটি থেকে আসেন। অবশ্য ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দল - যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি - তারাও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে। রিপাবলিকান পার্টি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী - যা একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। মি. ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হয়েছেন এবং তিনি এবার আরো চার বছরের জন্য পুননির্বাচিত হবার লড়াইয়ে নেমেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স রিপাবলিকান পার্টি 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি' নামেও পরিচিত। সাম্প্রতিককালে রিপাবলিকান পার্টির নীতি ছিল করের হার কমানো, বন্দুক রাখার অধিকার এবং অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে। সাধারণভাবে দেখা যায়, আমেরিকার অপেক্ষাকৃত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থন বেশি জোরালো। রিপাবলিকান পার্টির পূর্বতন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে আছেন জর্জ ডব্লিউ বুশ, রোনাল্ড রেগান এবং রিচার্ড নিক্সন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হচ্ছে উদারনৈতিক রাজৗনৈতিক দল। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং বারাক ওবামা যখন আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন মি. বাইডেনই ছিলেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরিচিত নাগরিক অধিকার, অভিবাসন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে তার উদারনৈতিক অবস্থানের জন্য। তারা মনে করে, স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ দেবার মতো জনগণের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের আরো বড় ভূমিকা পালন করা উচিত। আমেরিকার শহর অঞ্চলগুলোতে ডেমোক্যাটিক পার্টির সমর্থন জোরালো বলে দেখা যায়। সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে আছেন জন এফ কেনেডি, বিল ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জো বাইডেন: এবারের দৌড় হোয়াইট হাউসের জন্য জো বাইডেন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থীরই বয়স ৭০এর বেশি। যদি মি. ট্রাম্প পুননির্বাচিত হন, তাহলে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে তার বয়স হবে ৭৪,। আর যদি মি. বাইডেন বিজয়ী হন - তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম মেয়াদে নির্বাচিতদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। কীভাবে জয়পরাজয় নির্ধারিত হয়? অন্য অনেক দেশের নির্বাচনেই দেখা যায় - যে প্রার্থী বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব সময় তা নাও হতে পারে। কারণ মার্কিন নির্বাচনী পদ্ধতিকে বলা যায় 'পরোক্ষ' ভোট ব্যবস্থা - যা অনেকের কাছে একটু জটিল মনে হতে পারে। এখানে একজন ভোটার যখন তার পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তখন তিনি আসলে ভোট দিচ্ছেন তার অঙ্গরাজ্য-ভিত্তিক নির্বাচনী লড়াইয়ে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আসল লড়াই হয় যে রাজ্যগুলোতে কোন দলেরই সুস্পষ্ট প্রাধান্য নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে আসলে দু'ধরণের ভোট জিততে হয়। একটি হচ্ছে 'পপুলার' ভোট বা সাধারণ ভোটারদের ভোট। আরেকটি হচ্ছে 'ইলেকটোরাল কলেজ' নামে এক ধরণের নির্বাচকমন্ডলীর ভোট। নির্বাচনের প্রার্থীরা আসলে এই ইলেকটোরাল ভোট জেতার জন্যই লড়াই করেন। কোনো নির্বাচন ব্যবস্থাই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয় - এই ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিরও দোষ-গুণ দুটোই আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিকে ব্যাপক সম্মানের চোখে দেখা হয়, কারণ এর সাথে দেশটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সংযোগ আছে। তাছাড়া সাধারণত: এতে জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটে থাকে। যদিও গত পাঁচটি নির্বাচনের দুটিতেই এ পদ্ধতি ঠিক কাজ করেনি। এর সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন - যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের চাইতে প্রায় ৩০ লক্ষ পপুলার ভোট বেশি পেলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে পারেন এখানে: যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে কোন্ অঙ্গরাজ্যের কতগুলো ইলেকটোরাল ভোট? যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা। যে অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, তার ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যাও বেশি। মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা হচ্ছে ৫৩৮। যুক্তরাষ্ট্রের কোন রাজ্যের কতগুলো ইলেকটোরাল ভোট - তা দেখা যাচ্ছে এই মানচিত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে গেলে একজন প্রার্থীকে অন্তত: ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। একেকটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ সেই রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের রায় অনুযায়ী ভোট দিয়ে থাকে। একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পান - তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। অবশ্য দুটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে। এভাবে একেকটি রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ হতে হতে যে প্রার্থী ২৭০ পার হন - তিনিই হন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে যা হয়েছিল তা হলো - তিনি নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো ডেমোক্র্যাটিক-প্রধান অঙ্গরাজ্যগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্য কয়েকটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যে জয়ী হন, যার ফলে তিনি মোট ৩০৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পান - যা ছিল হিলারি ক্লিনটনের পাওয়া ২২৭টি ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ রাজ্যই চিরাচরিতভাবে 'রিপাবলিকান' বা 'ডেমোক্র্যাট' বলে চিহ্নিত হয়ে গেছে। তাই প্রার্থীরা প্রচারণার সময় এমন ১০-১২টি রাজ্যের দিকে মনোযোগ দিয়ে থাকেন - যেগুলো ঠিক নির্দিষ্ট কোন দলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত নয় এবং যে কোন দলই জিতে যেতে পারে। এগুলোকেই বলে 'ব্যাটলগ্রাউন্ড' স্টেট - অর্থাৎ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আসল লড়াই হয় এ রাজ্যগুলোতেই। এ সম্পর্কে আরো জানতে হলে পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে কে ভোট দিতে পারেন, এবং কীভাবে? আপনি যদি একজন মার্কিন নাগরিক হন এবং আপনার বয়স ১৮ বা তার বেশি হয়, তাহলে আপনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। তবে অনেক রাজ্যেই আইন করা হয়েছ��� যে শুধু উপযুক্ত হলেই হবে না, ভোট দেবার আগে তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। প্রায় ক্ষেত্রেই এসমস্ত আইন করেছে রিপাবলিকানরা, এবং তাদের যুক্তি হলো, ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে এসব আইন দরকার। জনমত জরিপে জো বাইডেন এগিয়ে, তবে মার্কিন নির্বাচনের ফল নির্ধারিত হয় ইলেকটোরাল ভোটে কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছে যে ভোটারদের দমনের জন্য এসব আইন ব্যবহার করা হয়, কারণ প্রায়ই দরিদ্র বা সংখ্যালঘুরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। কারাবন্দীদের ভোট দেবার ক্ষেত্রেও রাজ্যগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন আইন আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ভোট দেবার অধিকার হারায়, কিন্তু সাজা ভোগ করার পর তারা আবার ভোটাধিকার ফেরত পায়। ভোটাররা সাধারণত: নির্বাচনের দিন কোন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিককালে বিকল্প পন্থায় ভোট দেবার সংখ্যা বাড়ছে। যেমন, ২০১৬ সালে মোট ভোটের ২১ শতাংশই দেয়া হয়েছিল ডাকযোগে। হোয়াইট হাউসে নতুন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরু হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালে ২৪ কোটি ৫০ লাখ লোক ভোটদানের উপযুক্ত ছিলেন, কিন্তু আসলে ভোট পড়েছিল ১৪ কোটিরও কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যারা নিবন্ধিত হননি তারা বলেছিলেন তারা রাজনীতিতে আগ্রহী নন। আর যারা নিবন্ধিত হয়েও ভোট দেননি তারা বলেছিলেন, কোন প্রার্থীকেই তাদের পছন্দ হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কীভাবে লোক ভোট দেবে তা আমেরিকায় এক বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কিছু রাজনীতিবিদ ডাকযোগে ভোটদান পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, এর ফলে ভোটার জালিয়াতি বেড়ে যেতে পারে, যদিও এর পক্ষে প্রমাণ খুবই সামান্য। এ সম্পর্কে আরো পড়তে পারেন এখানে: পোস্টাল ভোট: দুই শিবিরেই কারচুপির আশংকা? এ নির্বাচন কি শুধু কে প্রেসিডেন্ট হবেন তা ঠিক করার জন্যই? না। যদিও সংবাদ মাধ্যমের বেশি মনোযোগ ট্রাম্প-বাইডেন লড়াইয়ের দিকেই, কিন্তু একই সাথে ভোটাররা মার্কিন কংগ্রেসের নতুন সদস্য নির্বাচনের জন্যও ভোট দেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভাকে বলে কংগ্রেস। এটি দুই কক্ষবিশিষ্ট - নিম্নকক্ষকে বলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদ, আর উচ্চকক্ষকে বলে সেনেট। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য। অন্যদিকে সেনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছরের, এবং তারা তিন ভাগে বিভক্ত। ফলে দু'বছর পরপর সেনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। এবছর প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতেই নির্বাচন হচ্ছে, আর সেনেট নির্বাচন হচ্ছে ৩৩টি আসনে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনও হবে বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা, আর সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেন রিপাবলিকানরা। ডেমোক্র্যাটরা এবার চাইছেন নিম্নকক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে, পাশাপাশি সেনেটেরও নিয়ন্ত্রণ নিতে। যদি তারা উভয় কক্ষেই এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যান, তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুননির্বাচিত হলেও তার পরিকল্পনাগুলো আটকে দিতে বা বিলম্বিত করতে সক্ষম হবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কবে জানা যাবে? ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে, তবে সাধারণত ভোটের পরদিন ভোর হতে হতেই কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। যেমন, ২০১৬ সালের ভোটের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে তার বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ভোররাত তিনটের দিকে, উল্লসিত সমর্থকদের সামনে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তবে এটা জেনে আপনি আবার আগেভাগেই ঘড়িতে এ্যালার্ম দিয়ে রাখবেন না যেন। মার্কিন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জানতে হয়তো কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। এর কারণ - এবার ডাকযোগে দেয়া ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডাকযোগে ভোট দিতে হলে অনেক রাজ্যেই ভোটারদের একটা কারণ দেখাতে হয়। কিছু কিছু অঙ্গরাজ্য করোনাভাইরাস সংক্রমণকে একটা গ্রহণযোগ্য কারণ হিসেবে মেনে নিয়েছে - তবে সবাই নয়। সবশেষ যে নির্বাচনে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল তা হলো ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন সেবার রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনায়। দুই প্রার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ' ভোটের ফারাক ছিল। এ নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনী যুদ্ধ, যার পরিণামে ভোট পুনর্গণনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। অবশেষে মি. বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যের ২৫টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলো পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ এবং বিজয় নিশ্চিত হয়। মি. গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। বিজয়ী প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় অভিষিক্ত হবেন কবে? যদি জো বাইডেন বিজয়ী হন - তাহলেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্থলাভিষিক্ত হতে পারবেন না। এর কারণ: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতার ক্ষমতাসীন হবার আগে একটা নির্দিষ্ট অন্তর্বতীকালীন সময়সূচী আছে। নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ২০২১ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখে এর লক্ষ্য হলো নতুন প্রেসিডেন্টকে তার পরিকল্পনা তৈরি করা এবং মন্ত্রিসভা নিয়োগ করার জন্য সময় দেয়া। নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন ২০শে জানুয়ারি। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টে অভিষেক হয়। এ অনুষ্ঠানের পরই নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে যান তার চার বছরব্যাপি মেয়াদ শুরু করার জন্য। এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন মাইক হিলস, এভিসা তেরজিউ ও প্রিনা শাহ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান কী যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যা কিছু জেনে রাখা প্রয়োজন", "doc2": "Donald Trump, 74 ans, et Joe Biden, 78 ans, sont les deux candidats en lice pour l'élection présidentielle de novembre. L'élection a lieu tous les quatre ans et généralement, on s'intéresse beaucoup aux résultats mais on ne comprend pas très bien comment le processus fonctionne. Même ici, à BBC News, nous devons nous rappeler comment fonctionne le collège électoral et ce qu'est un État disputé. Donc que vous cherchiez à vous rafraîchir la mémoire ou bien que ce soit la première fois que vous suivez un scrutin présidentiel américain, ce guide simple pour comprendre les élections américaines vous sera utile. Quand a lieu l'élection et qui sont les candidats ? L'élection présidentielle a toujours lieu le premier mardi de novembre, c'est-à-dire cette fois-ci le 3 novembre. Contrairement à de nombreux autres pays, le système politique américain est dominé par deux partis seulement, de sorte que le président appartient toujours à l'un ou l'autre. Les républicains sont le parti politique conservateur des États-Unis et leur candidat à l'élection de cette année est le président Donald Trump, qui espère s'assurer un nouveau mandat de quatre ans. Le parti républicain est également connu sous le nom de GOP, ou Grand Old Party. Ces dernières années, il s'est prononcé en faveur d'une baisse des impôts, du droit à porter des armes et d'un renforcement des restrictions à l'immigration. Ce parti tend à engranger d'avantage de soutien dans les régions rurales d'Amérique. Parmi les anciens présidents républicains figurent George W Bush, Ronald Reagan et Richard Nixon. Les démocrates sont le parti politique libéral des États-Unis et leur candidat est Joe Biden, un politicien expérimenté connu pour avoir été le vice-président de Barack Obama pendant huit ans. Le Parti démocrate se définit mieux par ses positions libérales sur des questions comme les droits civils, l'immigration et le changement climatique. Il estime que le gouvernement devrait jouer un rôle plus important dans la vie des gens, par exemple en leur fournissant une assurance maladie. Le soutien au parti tend à être plus fort dans les zones urbaines des États-Unis. Parmi les anciens présidents démocrates figurent John F. Kennedy et Barack Obama. Les deux hommes sont septuagénaires : M. Trump aurait 74 ans au début de son second mandat, tandis qu'à 78 ans, M. Biden serait le plus âgé de tous les présidents de l'histoire à avoir effectué un premier mandat. Comment le vainqueur de l'élection est-il choisi ? Le vainqueur n'est pas toujours le candidat qui remporte le plus de voix des électeurs au niveau national - comme l'a découvert Hillary Clinton battue en 2016. Hillary Clinton était l'adversaire de Donald Trump en 2016. Elle a remporté près de trois millions de voix de plus que M. Trump, principalement parce qu'elle a recueilli un nombre élevé de voix dans des États bastions démocrates densément peuplés comme New York et la Californie. Cependant, son rival l'a largement battue dans la course au collège électoral avec 304 grands électeurs contre 227 parce qu'il a remporté plusieurs élections serrées dans des États clés. Lire aussi sur BBC Afrique Au lieu de cela, les candidats se disputent les voix du collège électoral. Chaque État détient un certain nombre de voix au collège électoral en fonction de sa population. Il y a au total 538 grands électeurs. Le vainqueur est donc le candidat qui remporte 270 voix de grands électeurs ou plus. Comme la plupart des systèmes électoraux, le collège électoral a ses partisans et ses opposants, mais il est largement respecté en raison de ses racines historiques qui remontent à la fondation des États-Unis. Il reflète généralement le vote des électeurs, mais parfois ce n'est pas le cas comme lors de deux des cinq dernières élections, notamment lorsque Donald Trump a gagné en 2016. Cela signifie que lorsqu'une personne vote pour son candidat préféré, elle le fait au niveau de l'État plutôt que dans un scrutin national. Graphique : Une carte des États-Unis montrant le nombre de votes du collège électoral alloués à chaque État Tous les États sauf deux ont une règle du \"winner-takes-all\", c'est-à-dire que le candidat qui remporte le plus grand nombre de voix de grands électeurs se voit attribuer toutes les voix du collège électoral de l'État. La plupart des États penchent fortement vers l'un ou l'autre parti, ce qui signifie que les candidats concentrent leurs efforts sur une douzaine d'États où les positions des électeurs son plus indécises et varient d'une élection à l'autre en faveur du parti républicain ou du parti démocrate. C'est ce qu'on appelle les Etats clés. Dans ces États, souvent appelés aussi \"swing states\" (Etats qui balancent), les électeurs sont répartis de manière relativement égale entre les démocrates et les républicains. La Floride et l'Ohio sont traditionnellement des \"swing states\". D'autres États qui ont été fortement républicains dans le passé, comme l'Arizona et le Texas, sont considérés comme des Etats clés en 2020 en raison du soutien croissant dont bénéficie le parti démocrate dans ces Etats. Qui peut voter et comment s'organisent les scrutins ? Si vous êtes un citoyen américain et que vous avez 18 ans ou plus, vous devriez pouvoir voter à l'élection présidentielle. En 2016, environ 245 millions de personnes avaient le droit de voter, mais moins de 140 millions l'ont fait. Selon le Bureau du recensement américain, la majorité des personnes qui ne se sont pas inscrites pour voter ont déclaré qu'elles ne s'intéressaient tout simplement pas à la politique. Ceux qui se sont inscrits mais n'ont pas voté ont déclaré qu'ils n'aimaient pas les candidats. Les Etats-pivots Toutefois, de nombreux États ont adopté des lois exigeant que les électeurs présentent des documents d'identité pour prouver leur identité avant de pouvoir voter. Ces lois sont souvent mises en place par des républicains qui affirment qu'elles sont nécessaires pour se prémunir contre la fraude électorale. Mais les démocrates les accusent d'utiliser cela comme une forme de répression des électeurs, car ce sont souvent les électeurs pauvres et issus des minorités qui ne peuvent pas fournir de pièces d'identité comme un permis de conduire. Les États ont également des règles différentes sur la question de savoir si les prisonniers peuvent voter. La majorité d'entre eux perdent leur droit de vote lorsqu'ils sont condamnés, mais le recouvrent lorsqu'ils ont purgé leur peine. La plupart des gens votent dans un bureau de vote le jour du scrutin, mais des méthodes alternatives se sont multipliées ces dernières années. En 2016, 21 % de ceux qui ont voté l'ont fait par correspondance. La manière dont les gens votent est une question controversée cette année en raison de la pandémie de coronavirus. Certains hommes politiques demandent d'utiliser d'avantage le vote par correspondance, mais le président Trump a déclaré - avec très peu de preuves - que cela pourrait entraîner une augmentation de la fraude électorale. Ceux qui s'opposent au vote électoral affirment que les bulletins de vote par correspondance favorisent la fraude - citant des incidents isolés impliquant des républicains et des démocrates - mais de nombreuses études au niveau national et au niveau fédéral n'ont trouvé aucune preuve d'une fraude généralisée. L'élection ne concerne-t-elle que le choix du nouveau président ? Non. Toute l'attention sera portée sur le duel Trump contre Biden, mais les électeurs choisiront également les nouveaux membres du Congrès lorsqu'ils rempliront leur bulletin de vote. Le Congrès est la partie du gouvernement américain qui écrit et adopte les lois. Il est composé de deux chambres - la Chambre des représentants et le Sénat. Les membres de la Chambre ont un mandat de deux ans tandis que les sénateurs ont un mandat de six ans. Le Sénat se renouvelle par tiers, ce qui signifie qu'un tiers d'entre eux sont élus tous les deux ans. Une session conjointe du Congrès. Les démocrates ont déjà le contrôle de la Chambre, ils chercheront donc à le conserver tout en gagnant le contrôle du Sénat. S'ils disposaient d'une majorité dans les deux chambres, ils pourraient bloquer ou retarder les projets du président Trump s'il devait être réélu. Les 435 sièges de la Chambre sont à pourvoir cette année, tandis que 33 sièges du Sénat sont également à pourvoir. Quand connaîtrons-nous le résultat ? Il faut parfois plusieurs jours pour que chaque vote soit comptabilisé, mais il est généralement assez facile de savoir qui est le gagnant dès les premières heures du lendemain du jour d'élection. En 2016, Donald Trump est monté sur scène à New York vers 3 heures du matin pour prononcer son discours de victoire devant une foule de supporters en liesse. Mais ne réglez pas encore vos réveils. Cette année, nous devrons peut-être attendre plus longtemps - peut-être des jours, voire des semaines - pour obtenir le résultat en raison de la hausse attendue des votes par correspondance. Sondages Il existe deux façons de voter aux États-Unis - en se rendant dans un bureau de vote le jour du scrutin ou en utilisant un bulletin de vote par correspondance - mais les règles varient selon les États. Tous les États proposent une forme de vote par correspondance, mais beaucoup exigent de fournir la raison pour laquelle l'électeur ne peut pas voter en personne le jour du scrutin. Certains États acceptent la pandémie de coronavirus comme une raison valable pour utiliser un bulletin de vote par correspondance, mais ce n'est pas le cas dans tous les Etats pour le moment. La dernière fois que le résultat n'a pas été clair en quelques heures, c'était en 2000, lorsque le vainqueur n'a été confirmé qu'un mois plus tard par un arrêt de la Cour suprême. En 2000, la duel entre le candidat républicain George W Bush et le candidat démocrate Al Gore était si serré que seul le résultat du vote en Floride permettait de les séparer mais à quelques centaines de voix près seulement. Après semaines de batailles juridiques, on a procédé à un recomptage des voix, mais la Cour suprême est finalement intervenue. M. Bush a été déclaré vainqueur, les 25 votes du collège électoral de Floride lui donnant un total de 271 votes favorables parmi les grands électeurs. M. Gore, qui a remporté plus de voix d'électeurs au niveau national que M. Bush, a reconnu sa défaite. Quand le gagnant prendra-t-il ses fonctions ? Le podium présidentiel devant la Maison Blanche Si Joe Biden remporte les élections, il ne remplacera pas immédiatement le président Trump, car une période de transition est prévue pour donner au nouveau leader le temps de nommer les ministres et de faire des projets. Le nouveau président prête officiellement serment le 20 janvier lors d'une cérémonie d'investiture connue sous le nom \"d'inauguration\", qui se tient sur les marches du Capitole à Washington DC. Après la cérémonie, le nouveau président se rend à la Maison Blanche pour commencer son mandat de quatre ans. Écrit et produit par Mike Hills, Evisa Terziu et Prina Shah."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51939972", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-53484633", "doc1": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য জানায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই ���ঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, \"পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরো মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিস্বত্ত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।\" তিনি বলেন, \"বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে যে আমাদের আরো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সেটিও স্পষ্ট।\" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সাথে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর। ডক্টর ক্ষেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, \"শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।\" তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরো শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস তখন জরুরি অবস্থায় নেয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরো বাড়াতে হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য সেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছা প্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি:", "doc2": "L'OMS a déclaré qu'il y avait \"une accélération continue de la transmission [Covid-19]\". Le responsable des urgences de l'organisation, Michael Ryan, a déclaré que ce qui se passe en Afrique du Sud \"pourrait malheureusement être un précurseur\" et \"un avertissement pour ce qui se passera dans le reste de l'Afrique\". \"Alors que l'Afrique du Sud vit un événement très, très grave, je pense que c'est vraiment un marqueur de ce à quoi le continent pourrait être confronté si une action urgente n'est pas prise pour fournir un soutien supplémentaire\", a-t-il déclaré. Selon l'OMS, les cas en Afrique du Sud ont augmenté de 30 % au cours de la semaine dernière, le Kenya de 31 %, Madagascar de 50 %, la Zambie de 57 % et la Namibie de 69 %. L'Afrique a signalé 597.223 cas confirmés de Covid-19, dont 9.691 décès, lundi, selon les statistiques de l'OMS. En Afrique du Sud, le pays le plus touché sur le continent, le ministre des ressources minérales et de l'énergie Gwede Mantashe a été admis à l'hôpital quelques jours après avoir été testé positif au Covid-19, a annoncé le gouvernement. Gwede Mantashe Sa femme, Nolwandle Mantashe, continuera à se mettre en quarantaine à la maison. Le couple a été testé positif pour le Covid-19 mardi dernier. Dans un communiqué, le gouvernement a déclaré que le ministre a été \"admis à l'hôpital sur les conseils de leur médecin de famille pour une meilleure prise en charge et un meilleur suivi médical\". L'Afrique du Sud a le plus grand nombre de cas confirmés de Covid-19 sur le continent et le cinquième au monde - seuls les États-Unis, le Brésil, l'Inde et la Russie en ont plus. Elle compte environ 360 000 cas et 5 000 décès."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48488143", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/48490954", "doc1": "ব্রাজিলে জাতীয় দলের সাথে আছেন নেইমার। সাও পাওলোর পুলিশ বলছে, যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটেছিল একটি হোটেলে। প্যারিসের ওই হোটেলে নেইমারের দল পিএসজির খেলোয়াড়েরা অবস্থান করছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত নেইমার কিংবা তার কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নেইমার এখন ব্রাজিলে কোপা আমেরিকার জন্য গঠিত দেশটির জাতীয় দলের সাথে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। অভিযোগে কী বলা হয়েছে? অভিযোগকারী নারীর নাম এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের ডকুমেন্টস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীর সাথে নেইমারের পরিচয় হয়েছিল ইন্সটগ্রামে। পরে নেইমার ওই নারীকে প্যারিসে তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন। তিনি ওই নারীকে ব্রাজিল থেকে প্যারিসের আসার জন্য একটি বিমান টিকেট পাঠান এবং প্যারিসের ওই হোটেলে তার জন্য রুম রিজার্ভেশন নিশ্চিত করেন। ওই নারীর অভিযোগ, গত ১৫ই মে নেইমার যখন হোটেলে ফিরেন তখন তিনি 'আপাতদৃষ্টিতে মাতাল' ছিলেন। একা হাতে যারা সন্তান বড় করেন বাবা মা যখন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুঁড়েঘর থেকে মন্ত্রিসভায়ঃ প্রতাপ সারাঙ্গি আসলে কে? পর্বত শিখরে ঊঠতে গিয়ে নিখোঁজ আট পর্বতারোহী নেইমার হোটেলে এসেই তিনি ওই নারীর সাথে কিছু কথা বলে তাকে জড়িয়ে ধরেন। \"এক পর্যায়ে নেইমার আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এবং জোর করেই ওই নারীর সম্মতি ছাড়াই তাকে যৌনতায় বাধ্য করেন।\" দুদিন পর ওই নারী ব্রাজিলে ফিরে যান, যদিও যাওয়ার আগে ফরাসি পুলিশের কাছে তিনি কোন অভিযোগ করেননি। তার দাবি, \"ওই ঘটনায় তিনি ছিলেন হতবিহবল, আর অন্য দেশে এ ধরণের অভিযোগ করার বিষয়ে তিনি ভয় পাচ্ছিলেন।\" নেইমারের বাবা কী বলছেন? ���েইমারের বাবা নেইমার দস সান্তোস ব্রাজিলের একটি টিভিকে শনিবার বলেছেন, \"এটা পরিষ্কার যে ওটা ছিলো একটা ফাঁদ।\" \"জনমনে বিষয়টি পরিষ্কার না হলে নেইমারের হোয়াটসঅ্যাপ এবং সেখানে ওই মেয়ের সাথে নেইমারের কথোপকথন আমরা দেখাবো।\" কোপা আমেরিকার জন্য প্রস্তুত নেইমার? ২৭ বছর বয়সী ফুটবল তারকা সাম্প্রতিক সময়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত কারণে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন। গত মাসে একজন ফ্যানকে আঘাত করার ঘটনায় ফরাসি ফুটবল কর্তৃপক্ষ তাকে তিনমাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এছাড়া ড্রেসিং রুমেও বিপত্তির জন্ম দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকার ন্যাশনাল টিম চ্যাম্পিয়নশিপ -কোপা আমেরিকা- শুরু হবে ব্রাজিলে আগামী ১৪ই জুন। একই গ্রুপের অন্য দলগুলো হলো - বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা ও পেরু। তবে গত মঙ্গলবার হাঁটুর আঘাতে ট্রেনিং বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন নেইমার, যদিও মনে করা হচ্ছে ইনজুরিটা খুব মারাত্মক কিছু হয়নি।", "doc2": "Neymar Jr. Selon un rapport de police déposé à São Paulo, la femme affirme que son agression aurait eu lieu dans un hôtel de la capitale française, où Neymar joue pour le Paris St-Germain (PSG). Neymar a cherché à prouver son innocence en publiant ce qu'il dit être un échange de messages Whatsapp entre les deux partenaires. Selon des documents de la police, la femme dont l'identité n'a pas été révélée a connu Neymar sur Instagram et il a suggéré de se rencontrer à Paris. Il lui a fourni un billet d'avion Brésil-France et une réservation dans un hôtel de luxe à Paris. Lorsque Neymar est arrivé à l'hôtel le 15 mai, il était \"apparemment en état d'ébriété\", affirme la femme. \"Neymar serait devenue agressif à un moment donné et, par la violence, aurait eu des rapports sexuels contre la volonté de la victime\", indique le document de police. La femme est revenue au Brésil deux jours plus tard, sans signaler l'incident à la police française, car elle était \"émotionnellement bouleversée\", poursuit le document. Dans une vidéo de 7 minutes, la star du PSG a publié ce qu'il prétend être une longue série de messages WhatsApp avec la femme, y compris des photographies d'elle en sous-vêtements. « Ce sont des moments intimes, a-t-il reconnu, mais il est nécessaire de les exposer pour prouver que rien ne s'est réellement passé », a insisté le joueur. Ce n'est pas la première fois qu'un scandale sexuel secoue le football brésilien. En 2008, l'attaquant Ronaldo avait fini une soirée dans un hôtel de Rio avec trois travestis et terminé au poste de police car il avait refusé de les payer."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50614538", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-40187613", "doc1": "লন্ডন ব্রিজের উত্তরের অংশে একটি হলে চলতে থাকা এক অনুষ্ঠানে হামলার সূত্রপাত হয়। ছুরি নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই জনগণের সহায়তায় এবং পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন। এখানে সেই হামলার ঘটনাস্থলের কিছু ছবি: ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর লন্ডন ব্রিজ রেল স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বিবিসির জন ম্যাকম্যানাস ঘটনাস্থল থেকে জানান, ব্রিজের ওপর তিনি কিছু লোককে মারামরি করতে দেখেছেন। এরপর পুলিশে সেখানে হাজির হয় এবং গুলি ছোঁড়ে। আতঙ্কিত মানুষ ঘটনাস্থাল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আরো পড়তে পারেন: পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে পুলিশ সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মেট্রোপলিটান পুলিশের নৌশাখা টেমস নদীতে টহল দিচ্ছে। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে হাজির হয় অ্যাম্বুলেন্স। সশস্ত্র পুলিশের এক কর্মকর্তা এক পথচারীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশের ফোরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা রাত জেগে অকুস্থলে তদন্ত চালান।", "doc2": "Un homme s'est fait exploser au quatrième étage d'un bâtiment du parlement iranien alors que les forces spéciales donnaient l'assaut contre deux assaillants armés. Les assaillants ont visé des lieux hautement symboliques, le Parlement et le mausolée de l'ayatollah Khomeiny, père fondateur de la République islamique d'Iran. Un homme s'est fait exploser au quatrième étage d'un bâtiment du Parlement iranien alors que les forces spéciales donnaient l'assaut contre deux assaillants armés. Une femme s'était déjà fait exploser plus tôt dans la matinée à l'extérieur du mausolée, selon les médias iraniens. De tels attentats sont exceptionnels à Téhéran. Les derniers ont eu lieu dans les années ayant suivi la révolution islamique de 1979. LIRE AUSSI Un sosie de Messi embarqué par la police Une pétition contre Trump Le hajj : tensions entre l’Iran et l’Arabie Saoudite"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40341460", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49321105", "doc1": "নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের তারিখটি যেভাবে নির্ধারণ করা হয়, তা অনেকের কাছে খুব জটিল বলে মনে হতে পারে। বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঈদ হয় কেন? এর প্রধান কারণ, ঈদের তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম ধর্মীয় উৎসব, রীতিনীতি, অনুশাসনের জন্য অনুসরণ করেন ইসলামিক চন্দ্র বর্ষপঞ্জী। এই চন্দ্র বর্ষপঞ্জীর নয় নম্বর মাস হচ্ছে রমজান। রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসে, তখন সবাই পরিস্কার আকাশে এক নতুন চাঁদের অপেক্ষায় থাকেন। প্রতি বছর রমজান মাস গ্রেগরীয়ন ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১১ দিন এগিয়ে আসে। এর ফলে প্রতি বছর রমজান মাসের অভিজ্ঞতা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতর। কারণ বছরের বিভিন্ন সময় দিন দীর্ঘ কিংবা ছোট হয়। জাকার্তায় ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত এক মুসলিম নারী রমজান মাসে মুসলিমদের সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা রাখতে হয়। যদি মুসলিমরা সৌর বর্ষপঞ্জী অনুসরণ করতো, তাহলে রমজানের সময় প্রতি বছর ঠিক একই মৌসুমে হতো। এর মানে বিশ্বের কোন কোন অংশের মুসলিমদের সব সময় গ্রীস্মের সময় রোজা র���খতে হতো, যখন কিনা দিন সবচেয়ে লম্বা। আর কোন দেশে হয়তো শীতের সময় রোজা রাখতে হতো, যখন দিন ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু চন্দ্র বর্ষপঞ্জী অনুসরণের সুবিধা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সব মুসলিমকে বিভিন্ন মৌসুমে রোজার অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয়। প্রতি তেত্রিশ বছরে রমজান মাস ঘুরে ফিরে আবার সৌর বর্ষপঞ্জীর একই সময়ে ফিরে আসে। ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয় রমজানের পরের মাস শওয়ালের এক তারিখে। বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ঈদের তারিখ সরকারিভাবে নির্ধারিত হয়। অনেক দেশে চন্দ্র বর্ষপঞ্জী আগে থেকে নির্ধারিত করা থাকে। ফলে ঈদের তারিখটি আগে থেকেই জানা যায়। কিন্তু অনেক দেশে আকাশে চাঁদ দেখে তারপর ঈদের ঘোষণা দেয়া হয়। টেলিস্কোপে আকাশে ঈদের চাঁদ দেখার চেষ্টা করছেন মালয়েশিয়ার এক মুসলিম এ কারণেই বিভিন্ন দেশে ঈদ হয় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে। যেমন সৌদি আরবের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ঈদের তারিখ ঠিক করে খালি চোখে ঈদের চাঁদ দেখেছেন এমন মানুষদের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। অনেক মুসলিম দেশও একই পদ্ধতিতে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানে সরকারই নির্ধারণ করে ঈদের তারিখ। ইরাকে শিয়া এবং সুন্নীরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় ঈদের তারিখ ঠিক করে। ইরাকে শিয়াদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় নেতা হচ্ছেন গ্রান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল সিসতানি। তিনি সাধারণত ঈদের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে সুন্নিরা নির্ভর করে তাদের ধর্মীয় নেতাদের ঘোষণার ওপর। গত বছর অবশ্য বহু বছর পর একই দিনে ঈদ পালন করে ইরাকের শিয়া এবং সুন্নিরা। তুরস্ক সরকারিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সেখানে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল বা জ্যোর্তিবিজ্ঞানের হিসেব-নিকেষের ভিত্তিতে ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা তাদের স্ব স্ব সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঈদ পালন করে। সাধারণত তারা যেসব দেশ থেকে অভিবাসী হয়ে ইউরোপে এসেছে, সেসব দেশের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে।", "doc2": "Un mouton transporté sur une moto au marché aux bestiaux d'Abidjan, pendant les préparatifs de la fête musulmane Tabaski ou Eid al-Adha. La fête de trois jours est marquée par des prières spéciales, comme ici à Sale, au Maroc : A regarder : Sénégal: La tabaski 2.0 Dans la capitale égyptienne, le peuple du Caire a rempli les rues pour les prières du matin hier : L'Aïd se traduit par \"fête du sacrifice\" et commémore le jour où Dieu est venu à Ibrahim en songe et lui a dit de sacrifier son fils, mais plus tard il lui a donné un agneau à sacrifier. Ainsi, les gens célèbrent aussi la fête en sacrifiant un animal, comme celui-ci, sur le marché d'Abidjan, en Côte d'Ivoire : A regarder : 7 choses à savoir sur le Hajj La tradition est de partager la viande entre la famille, les amis et les pauvres. Et certaines personnes ont fait la fête en se déguisant, comme ces deux hommes aussi à Abidjan qui ont peint \"Happy Eid\" sur leur poitrine en français : Chaque année, les musulmans célèbrent l'Aïd al-Fitr et l'Aïd al-Adha. L'Aïd al-Fitr - qui signifie \"fête de la rupture du jeûne\" - est célébré à la fin du Ramadan, un mois où de nombreux musulmans adultes jeûnent. Les fêtes musulmanes sont basées sur le calendrier lunaire, donc tombent sur des jours différents chaque année, mais l'Aïd tombe environ deux mois après l'Aïd al-Fitr. A regarder : Sénégal : ambiance à l'approche de la Tabaski"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40772595", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43546523", "doc1": "বিরাট সংখ্যক কূটনীতিককে প্রত্যাহারের পর রাশিয়াতে থাকবে মাত্র ৪৫৫জন মার্কিন স্টাফ। আসছে পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছেড়ে যেতে হবে। দেখতে-দেখতেই আরো জটিল রূপ নিয়েছে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক। এই বিরাট সংখ্যক কূটনীতিককে প্রত্যাহারের পর রাশিয়াতে থাকবে মাত্র ৪৫৫জন মার্কিন স্টাফ; নানান নিষেধাজ্ঞার পর ঠিক এই সংখ্যক রুশ স্টাফই এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কূটনীতিক প্রত্যাহারের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। \"রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড, দুবৃত্ত শাসকদের জন্য সমর্থন, ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ড এগুলো যে গ্রহণযোগ্য নয় এই বিষয়টি আমাদের প্রেসিডেন্ট খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। প্রেসিডেন্ট এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি খুব দ্রুতই অবরোধ আরোপের বিলে স্বাক্ষর করবেন। পাশাপাশি আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, রাশিয়া তার আচরণ পাল্টাবে— এটা আমরা আশা করি\" বলেন মি: পেন্স। আধুনিক কূটনীতির ইতিহাসে এতো বিরাট সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে বহিষ্কারের ঘটনা আর ঘটেনি। ৭৫৫ জনকে একসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ায় মস্কোর দূতাবাসে থাকা কর্মীসহ একেতারিনবার্গ, ভ্লাডিভোস্টক ও সেন্ট পিটার্সবার্গ কনস্যুলেটরের কর্মীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিবিসির মস্কো প্রতিনিধি সারাহ রেইন্সফোর্ড। এই বহিষ্কারাদেশ দেয়ার পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আরো গুরুতর কোনো কিছু তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি। আর টানাপোড়েনে ভরা রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সম্পর্ক 'সহসাই পরিবর্তনের' কোনো আভাস তিনি দেখছেন না। রাশিয়ার উপরে সর্বশেষ যে মার্কিন অবরোধ দেয়া হয়েছে সেটিতে মার্কিন সংসদের দুই কক্ষই অনুমোদন দিয়েছে। তবে, এই অবরোধে আপত্তি জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। আরো পড়ুন: 'কর্মী চাই' সিনেমার পোস্টারে বিভ্রান্ত ইরানিরা বুকের দুধ খাওয়ানোর ছবি দিয়ে বিতর্কে প্রেসিডেন্ট কন্যা বগুড়ায় কী হয়েছিলো মা এবং মেয়েকে নিয়ে? ���ারতে আবারও বিক্ষোভের মুখে তসলিমা নাসরিন", "doc2": "Des services de sécurité sur le site où l'agent Sergei Skripal a été empoisoné avec sa fille à Salisbury. L'Allemagne, la France, l'Ukraine, le Canada et divers pays européens ont également expulsé des représentants russes de leurs pays. A la suite de cet incident, les dirigeants de l'Union européenne (UE) avaient convenu la semaine dernière qu'il était très probable que la Russie ait été derrière l'empoisonnement de l'ancien espion par des agents neurotoxiques. La Russie a qualifié ces mouvements de \"geste provocateur\" et a également expulsé 23 agents de l'ambassade du Royaume-Uni. Moscou a nié toute implication dans l'empoisonnement de Sergei Skripal et de sa fille, Yulia, à Salisbury, dans le sud de l'Angleterre. Solidarité internationale Le Premier ministre britannique Theresa May, en visite à Salisbury. Theresa May, le Premier ministre britannique, a salué la manifestation de solidarité qui a donné un message fort. \"Nous saluons les actions menées aujourd'hui par nos alliés, qui démontrent clairement que nous sommes tous solidaires pour envoyer un signal fort à la Russie pour lui faire comprendre qu'elle ne peut pas continuer à faire fi du droit international\", a déclaré le bureau de Mme May. Lire aussi : Le secrétaire d'Etat aux Affaires étrangères, Boris Johnson, a pour sa part déclaré que \"l'extraordinaire réponse internationale de nos alliés est dans l'histoire la plus grande expulsion collective des officiers de renseignement russes\". C'est la plus grande action engagée par les Etats-Unis contre la Russie depuis la guerre froide."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45246349", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45246783", "doc1": "'মি-টু' আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিলেন আসিয়া আর্জেন্টো নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, আসিয়া আর্জেন্টো তার বিরুদ্ধে যেন যৌন হামলার অভিযোগ না করা হয়, সেজন্যে অভিনেতা এবং রক সঙ্গীত তারকা জিমি বেনেটকে ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। জিমি বেনেট তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার পর আসিয়া আর্জেন্টো এই অর্থ দেন। শিশু অভিনেতা জিমি বেনেটের সঙ্গে একটি ছবিতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আসিয়া আর্জেন্টো নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার এক হোটেলে। তখন আসিয়া আর্জেন্টোর বয়স ছিল ৩৭ আর জিমি বেনেটের বয়স ১৭ বছরের সামান্য বেশি। আসিয়া আর্জেন্টো হোটেল কক্ষে জিমি বেনেটকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় আইন অনুযায়ী যৌনকর্মে সম্মতির ন্যূনতম বয়স হচ্ছে ১৮ বছর। জিমি বেনেটের বয়স এখন ২২ এবং আসিয়া আর্জেন্টোর ৪২। এই অভিযোগের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য নিউ ইয়র্ক টাইমস আসিয়া আর্জেন্টো এবং তার প্রতিনিধির সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পায়নি বলে জানাচ্ছে। অন্যান্য খবর: রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাওয়া? পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক নিয়ে বিপদে জাপান বাংলাদেশে অর্গানিক গরুর চাহিদা কেন বাড়ছে? যে চুক্তির অধীনে জিমি বেনেটকে চুপ থাকার বিনিময়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার দেয়া হয়েছে, তা এ বছরের এপ���রিল মাসে চূড়ান্ত করা হয় বলে টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগের সমর্থনে বিছানায় শুয়ে দুজনের তোলা একটি সেলফি এবং আরও কিছু ডকুমেন্ট নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি করছে। আসিয়া আর্জেন্টোর নিজের বিরুদ্ধেই এবার যৌন হামলার অভিযোগ উঠেছে জিমি বেনেট এবং আসিয়া আর্জেন্টো ২০০৪ সালে 'দ্য হার্ট ইজ ডিসিটফুল এবাভ অল থিংস' বলে ছবিতে কাজ করেন। ছবিতে আসিয়া আর্জেন্টো অভিনয় করেছিলেন জিমি বেনেটের মায়ের ভূমিকায়। 'মি-টু' আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন আসিয়া আর্জেন্টো ছিলেন এর সবচেয়ে শক্তিশালী কন্ঠগুলোর একটি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২১ বছর বয়সে যখন তিনি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যান, তখন হার্ভি ওয়েনস্টেইন তাকে একটি হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করেন। আসিয়া আর্জেন্টো যখন হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন, তারপরই জিমি বেনেট আসিয়া আর্জেন্টোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।", "doc2": "L'actrice italienne Asio Argento Selon le journal ''New York Times'', qui a dévoilé les accusations de Bennett, l'actrice a versé 380.000 dollars au jeune homme. Le quotidien américain déclare détenir des documents et une photo montrant Asio Argento et Jimmy Bennett apparemment au lit ensemble. A lire aussi: Bennett n'avait que 17 ans au moment de l'inconduite sexuelle dont il dit être victime, qui se serait déroulée dans un hôtel de Californie où l'âge du consentement est fixé à 18 ans. Au moment des faits, Asia Argento avait 37 ans. Elle fait partie de celles qui ont parlé, dénoncé, invectivé les auteurs de violences sexuelles, dans le cadre du mouvement #MeToo. A lire aussi : Etats-Unis : Bill Cosby accusé d'agression sexuelle Argento et Bennett se sont rencontrés pour la première fois en 2004, pour un film intitulé \"The Heart Is Deceitful Above All Things\", dans lequel Argento jouait la mère prostituée de Bennett. Harvey Weinstein surveillé par des policiers lors d'une audience au tribunal, à New York, en juillet 2018. Asia Argento fait partie de celles qui ont dénoncé les auteurs de violences sexuelles, dans le cadre du mouvement #MeToo. Elle avait accusé le producteur de Hollywood, Harvey Weinstein, d'agression sexuelle. Argento avait déclaré au magazine ''New Yorker'' que Weinstein l'avait violée au Festival de Cannes en 1997, alors qu'elle avait 21 ans. A lire aussi : Elle a également dit au même journal avoir eu une relation avec Weinstein parce qu'elle avait peur de le mettre en colère. Weinstein a été inculpé pour des accusations de crimes sexuels impliquant trois femmes. Fin 2017, sur les réseaux sociaux, les victimes de harcèlement sexuel témoignaient et partageaient leur expérience avec les hashtags #MeToo et #BalanceTonPorc, à la suite du scandale sexuel impliquant le producteur d'Hollywood. Regarder aussi: La campagne #metoo ne fait pas l'unanimité en France. Ces nouvelles révélations risquent de jeter un coup de froid sur la campagne #MeToo et remettre en cause certains témoignages."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53378960", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53388108", "doc1": "''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,'' বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেখানে তিনি আহত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ''আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে, ক��ন্তু আমার মতে, সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গা রয়েছে,''হোয়াইট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গও করেছেন। তবে শনিবার তিনি বলেছেন, ''আমি মনে করি, যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এরকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক এবং মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো একটা ব্যাপার।'' গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, ''আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।'' তিনি আরও যোগ করেন যে, মাস্ক পরলেও তাকে দেখতে অনেকটা 'লোন রেঞ্জারের' মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছেন আমেরিকান কল্পকাহিনীর একজন নায়ক, যিনি তার আদিবাসী আমেরিকান বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিমা আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। তবে গত এপ্রিল মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য সবার জন্য জনসম্মুখে মাস্ক পরার সুপারিশ করে, মি. ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি সেটা করবেন না। ''আমি এটা করবো বলে মনে হয় না,'' তিনি তখন বলেছিলেন। ''মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক, রাজা, রানীদের স্বাগত জানাচ্ছি- এমনটা দেখা যাবে বলে আমি মনে করি না।'' গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তাঁর সহকারীরা। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ লুইজিয়ানা রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে ইন্ডিয়ানা রাজ্যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে কারণ তার স্বজনরা জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে তাকে শেষ দেখার জন্য তারা আসতে পারছেন না। ড্যানিয়েল লি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ সোমবার কার্যকর করার কথা ছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সা���টি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "\"Je pense que c'est une bonne chose de porter un masque\", a déclaré le président. Le président était en visite à l'hôpital militaire Walter Reed, près de Washington, où il a rencontré des soldats blessés et des travailleurs du secteur de la santé. \"Je n'ai jamais été contre les masques mais je crois qu'ils ont un temps et un lieu\", a-t-il déclaré en quittant la Maison Blanche. Lire aussi: Coronavirus : ces dirigeants qui ont enfreint leurs propres règles Les États-Unis dépassent les trois millions de cas de coronavirus Obama critique encore la gestion du coronavirus par Trump Il a déjà déclaré qu'il ne porterait pas de masque et s'est moqué de son rival démocrate Joe Biden pour l'avoir fait. Mais samedi, il a dit \"Je pense que lorsque vous êtes dans un hôpital, surtout dans ce contexte particulier, où vous parlez à beaucoup de soldats et de personnes qui, dans certains cas, viennent juste de sortir des tables d'opération, je pense que c'est une bonne chose de porter un masque\". Le changement de ton est intervenu alors que les États-Unis ont enregistré 66 528 cas de coronavirus samedi, un nouveau record quotidien. Qu'a dit M. Trump à propos des masques faciaux ? M. Trump a déclaré la semaine dernière à la Fox Business Network : \"Je suis tout à fait pour les masques\". Il a ajouté qu'il \"aimait bien\" son apparence avec un masque, se comparant au Lone Ranger, un héros masqué fictif qui, avec son ami amérindien Tonto, a combattu les hors-la-loi dans le vieil Ouest américain. Mais lorsque les centres américains de contrôle des maladies (CDC) ont commencé à recommander, en avril, que les gens portent des masques ou des vêtements en public pour aider à stopper la propagation du virus, M. Trump a déclaré aux journalistes qu'il ne suivrait pas cette pratique. \"Je ne pense pas que je vais le faire\", avait-il déclaré à l'époque. \"Je porte un masque facial lorsque je salue des présidents, des premiers ministres, des dictateurs, des rois, des reines - je ne le vois pas\". Certains médias ont laissé entendre que des collaborateurs de M. Trump ont demandé à plusieurs reprises au président de porter un masque en public. Dans une interview accordée au Wall Street Journal le mois dernier, M. Trump a suggéré que certaines personnes pourraient porter un masque pour lui signifier leur désapprobation. Il a également déclaré qu'il était en désaccord avec les personnes qui se touchent le visage après avoir enlevé leur masque. \"Ils mettent leur doigt sur le masque, et ils l'enlèvent, puis ils commencent à se toucher les yeux et à se toucher le nez et la bouche. Et puis ils ne savent pas comment ils l'ont attrapé\", a-t-il dit. Quelle est la situation actuelle aux États-Unis ? Les États-Unis ont enregistré 66 528 autres infections au cours des dernières 24 heures, un record pour une journée, et un total de près de 135 000 décès depuis le début de la pandémie, selon les données de l'université Johns Hopkins. La Louisiane est le dernier État à avoir ordonné le port de masques en public. Le gouverneur démocrate John Bel Edwards a également ordonné la fermeture de bars dans toute la Louisiane, et a renforcé les restrictions imposées aux restaurants, qui ne pourront plus servir les clients à l'intérieur. Ces mesures entrent en vigueur lundi. Les législateurs républicains de l'État devraient s'y opposer. c \"Si vous n'aimez pas le mandat de port de masque, alors n'aimez pas que vous portiez votre masque\", a déclaré le gouverneur Edwards. \"Si vous voulez m'en vouloir, alors soyez en colère contre moi.\" Le Texas voisin a enregistré une nouvelle hausse des infections à coronavirus, avec un record de 10 500 nouveaux cas enregistrés samedi. Le gouverneur de Caroline du Sud a pris un arrêté interdisant la vente d'alcool après 23 heures dans les bars et restaurants pour tenter d'arrêter la propagation du virus. Un tribunal de l'Indiana a suspendu l'exécution d'un tueur reconnu coupable, les proches de la victime ayant déclaré qu'ils craignaient de voyager pendant la pandémie pour le voir mourir. Daniel Lee devait être exécuté lundi dans ce qui aurait été la première exécution fédérale depuis 17 ans."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51385416", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51371695", "doc1": "বিগ থ্রি - চার্চিল, রুজভেল্ট ও স্ট্যালিন নাৎসি জার্মানির অবস্থা সঙ্গিন। সোভিয়েত বাহিনী বার্লিনের কাছে, অন্যদিকে মিত্র বাহিনী জার্মানির পশ্চিম সীমান্ত অতিক্রম করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী অগ্রসরমান জাপানের দিকে। নিজেদের সেনাবাহিনী যখন জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে তখন কথিত বিগ থ্রি মানে তিন পরাশক্তি- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন - কৃষ্ণসাগরের তীরে সোভিয়েত রিসোর্ট -ইয়াল্টায় বৈঠকে বসতে সম্মত হন। ৭৫ বছর আগে রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধের পর এ ধরণের কর্মকাণ্ড যাতে আর না হয় সেটিই তারা চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া সহযোগিতা করতে চেয়েছে নিজেদের শর্তানুযায়ী। ইয়াল্টা চুক্তি সত্ত্বেও কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছিলো স্নায়ু যুদ্ধের পটভূমি। যে যুদ্ধ পরবর্তী কয়েক দশক বিশ্বকে বিভক্ত করে রেখেছিলো। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যান্ড্রু বেসভিক বিবিসিকে বলছেন, \"ইয়াল্টা বৈঠকের উদ্দেশ্য যদি হয় যুদ্ধের পর শান্তি আনা, তাহলে বলতেই হয় সেটি ব্যর্থ হয়েছে\"। কী হয়েছিলো ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ততদিনে নাৎসি জার্মানি যুদ্ধে প্রায় পরাজিত। দেশটি তখনো প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছিলো কিন্তু যুদ্ধের ফল নিয়ে তখন আর কারও কোনো সন্দেহ ছিলোনা। পূর্ব ইউরোপে জার্মান বাহিনীর অবস্থা করুণ। কিন্তু যখন সোভিয়েত বাহিনী জয়ের পথে ততদিনে ইস্টার্ন ফ্রন্টে জার্মান বাহিনীর তিন ভাগই নিহত বা আহত। ধারণা করা হয় প্রতি সাতজনের একজন সোভিয়েত নাগরিক যার মোট সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি - যাদের দুই তৃতীয়াংশই বেসামরিক তারা নিহত হয়েছিলো। দেশটির শহর ও ধনী এলাকাগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিলো। শিল্প, কৃষি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এমনকি মানচিত্রেই আর দেখা যাচ্ছিলোনা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বার্লিন দেয়াল পতন যেভাবে বদলে দিয়েছিল পৃথিবী গ্যাস চেম্বারে কাজ করতে বাধ্য হওয়া ইহুদির জবানবন্দী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে সেনা প্রশিক্ষণ বদলে দিয়েছে রুশদের অ্যাটম বোমার ফর্মুলা দেন যে আমেরিকান তিন বছরের যুদ্ধের পর সোভিয়েতের কাছে পরাজিত হয় জার্মানি নেতাদের লক্ষ্য কী ছিলো জোসেফ স্ট্যালিন তার দেশকে নিজের পায়ে দাড় করাতে চেয়েছিলেন। তিনি জার্মানিকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন যাতে করে দেশটি আর কখনো হুমকি হতে না পারে। এবং একই সাথে তিনি ব্যাপক ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন- নিজের দেশকে পুনর্গঠনের জন্য। তিনি জানতেন এসব পেতে হলে তাকে পশ্চিমা শক্তিগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে। উইনস্টন চার্চিল জানতেন যে স্ট্যালিন কী চান। তারা ১৯৪৪ সালের অক্টোবরেও মস্কোতে সাক্ষাত করেছিলেন। তিনি জানতেন লাখ লাখ সোভিয়েত সৈন্য যারা জার্মানিকে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে বের করে দিয়েছে এবং এখন সোভিয়েত তার সৈন্য সেসব জায়গায় রেখে দিতে চাইলে যুক্তরাজ্যের কিছু করার নেই। যুক্তরাজ্য যুদ্ধের সূচনা করেছিলো ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে কারণ তার মিত্র পোল্যান্ড দখল করে নিয়েছিলো জার্মানি। তবে জয়ের জন্য যুক্তরাজ্যকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। চার্চিল আশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন দিবে ও স্ট্যালিনের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের ছিলো নিজের কিছু অগ্রাধিকার। তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতিসংঘে স্বাক্ষর করুক স্ট্যালিন। তিনি এও চেয়েছিলেন যে সোভিয়েতরা জাপানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করুক। যদিও নাটকীয়ভাবে সবকিছুই জাপানের প্রতিকূলে যাচ্ছিলো, তারপরেও তাদের বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্র তখন জাপানি দ্বীপে রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন চালানোর কথাও ভেবেছিলো। ইয়াল্টা সামিট হয়েছিলো এখানে ইয়াল্টায় কী হয়েছিলো রুজভেল্ট ভূমধ্যসাগরীয় কোনো এলাকায় বসতে চেয়েছিলেন আর স্ট্যালিনের ছিলো বিমানভীতি। তিনিই ইয়াল্টা বৈঠকের প্রস্তাব দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিলো ৪ঠা থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের আবাসস্থল লিভাদিয়া প্রাসাদে যেটি রাশিয়ার শেষ জার নিকোলাস-২ এর গ্রীষ্মকালীন বাসভবন ছিলো। এর আগেও ১৯৪৩ সালে ইরানে সাক্ষাত হয়েছিলো তিন নেতার। চার্চিলের চেয়ে রুজভেল্ট বেশি বিশ্বাস করতেন স্ট্যালিনকে। চার্চিল স্ট্যালিনকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতেন। এক সপ্তাহের আলোচনার পর বিগ থ্রি তাদের সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্বকে। নি:শর্ত আত্মসমর্পণের পর জার্মানি দু ভাগে ভাগ হবে। এ ঘোষণায় বলা হয়েছিল জার্মানি ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবে এবং সেজন্য একটি কমিশন হবে মস্কোতে। এই নেতারা আরও একমত হলেন যে পোল্যান্ড সহ ইউরোপ জুড়ে মুক্ত এলাকাগেুলোতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে ও নতুন সরকার হবে। সোভিয়েতরা ওয়ারশ'তে যে প্রভিশনাল কমিউনিস্ট সরকার আছে সেটিও সম্প্রসারিত হবে। কিন্তু গণতন্ত্র বিষয়টার অর্থ স্ট্যালিনের কাছে ছিলো ভিন্ন। প্রকাশ্যে মুক্ত ইউরোপের জন্য অবাধ নির্বাচনে তিনি সম্মত হলেও তার বাহিনী ইতোমধ্যেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো দখল করে নিয়েছিলো। আবার স্ট্যালিনের অনুরোধ নেতারা সম্মত হন যে পোল্যান্ডের সীমানা কিছু সরে আসবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভূমি দিয়ে। আর এই বাল্টিক রাষ্ট্রটি সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগ দিবে। ইতিহাসবিদ আন্নে অ্যাপলবম তার বইয়ে লিখেছেন যে নেতারা ইউরোপের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন মারাত্মক অদূরদর্শিতা নিয়ে। রুজভেল্ট বেশি আগ্রহী ছিলেন তার জাতিসংঘ পরিকল্পনা নিয়ে এবং তিনি সফল হয়েছেন, কারণ তিন দেশই একমত হয়েছিলো ২৫শে এপ্রিল ১৯৪৫ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে প্রতিনিধি পাঠাতে। এর বাইরে স্ট্যালিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার তিন মাস পর জাপানে আগ্রাসন চালাবেন তিনি। তবে চুক্তি সত্ত্বেও শীর্ষ বৈঠকের পর পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন চার্চিল। তিনি তার বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধ শেষ হবার আগে দূরপ্রাচ্যের দিকে দ্রুত সরে আসতে বললেন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দু ভাগে বিভক্ত ছিলো বার্লিন পরে কী হলো কয়েক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন হলো। রুজভেল্ট মৃত্যুবরণ করেন এপ্রিলে ও ক্ষমতায় আসলেন হ্যারি ট্রুম্যান। মে মাসে জার্মানি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলো এবং ১৬ই জুলাই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বোমার সফল পরীক্ষা চালালো। পরীক্ষার পরদিনই প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান উইনস্টন চার্চিল ও জোসেফ স্ট্যালিনের সাথে বার্লিনের বাইরে পোটসড্যাম সম্মেলনে যোগ দিলেন। ট্রুম্যান স্ট্যালিনকে তেমন একটা জানতেননা। চার্চিল ক্ষমতায় ছিলেন মে, ১৯৪০ পর্যন্ত। তার পরিবর্তে ১৯৪৫ এর নির্বাচনের পর আসলেন ক্লিমেন্ট অ্যাটলি। তখন সম্মেলনের মুডটাই ছিলো ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী কারণ তারা পরমাণু বোমার অধিকারী। ট্রুম্যান স্ট্যালিনের বিষয়ে আরও সন্দিহান ছিলেন। তিনি ও তার উপদেষ্টারা বিশ্বাস করতেন যে সোভিয়েত ইয়াল্টা চুক্তির বিষয়ে অনড় থাকবে না। দু বছরের মধ্যে এলো ট্রুম্যান ডকট্রিন—অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশ টেনের ধরার ঘোষণা দিলো—শুরু হলো স্নায়ু যুদ্ধ। পরে চার্চিল ও রুজভেল্ট দুজনের সমালোচনা হলো স্ট্যালিনকে বেশি সুযোগ দেয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো তাদের তেমন কিছু করার ছিলো না, কারণ স্ট্যালিনের বাহিনী তখন পুরো মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে। ইয়াল্টার পর চার্চিল সোভিয়েত স্বার্থে আঘাতের পরিকল্পনা করলেও ব্রিটিশ সমরবিদদের কাছে তা ছিলো অবাস্তব। প্রফেসর লেফলার বলেন, \"ইয়াল্টায় শুধু সে সময়ের বাস্তবতাই প্রতিফলিত হয়েছিলো\"।", "doc2": "Les trois grands - Winston Churchill, Franklin Roosevelt et Joseph Staline Les troupes soviétiques se rapprochaient de Berlin, tandis que les forces alliées avaient franchi la frontière occidentale de l'Allemagne. Dans le Pacifique, les troupes américaines avançaient régulièrement mais dans le sang, vers le Japon. Lire aussi : Alors que leurs armées étaient sur le point de remporter la victoire, les \"Trois Grands\" - le président américain Franklin Roosevelt, le Premier ministre britannique Winston Churchill et le dirigeant soviétique Joseph Staline - ont accepté de se rencontrer à Yalta, une station balnéaire soviétique sur la mer Noire. À la fin du conflit le plus sanglant que le monde ait jamais connu, il y a 75 ans, les Alliés voulaient empêcher qu'une telle dévastation ne se reproduise. Mais les États-Unis et l'URSS voulaient tous deux coopérer sous leurs propres conditions. Les 3 Grands - Churchill, Roosevelt et Staline - à la conférence de Yalta. Malgré les accords de Yalta, en quelques mois, le décor était planté pour la guerre froide - la lutte entre les deux nouvelles superpuissances qui ont divisé le globe en camps idéologiques pendant des décennies. \"Si l'objectif de Yalta était de jeter les bases d'un ordre véritablement pacifique après la guerre, alors la conférence a échoué\", a déclaré à la BBC le professeur Andrew Bacevich de l'université de Boston. \"Mais étant donné les aspirations contradictoires des États-Unis et de l'URSS, cet objectif n'a jamais été atteint,\" poursuit-il. Lire aussi : Que se passait-il en février 1945 ? Au début de 1945, l'Allemagne nazie avait perdu la guerre. Le pays a maintenu sa résistance sanglante et de plus en plus désespérée, mais le résultat du conflit ne faisait plus aucun doute. En Europe de l'Est, l'Union soviétique avait renversé la vapeur et brisé les armées allemandes après quatre années de guerre sauvage. Mais alors que l'URSS était militairement triomphante - environ trois quarts de toutes les pertes de troupes allemandes dans la guerre sont survenues sur le front de l'Est - le pays avait terriblement souffert. Après plus de trois ans de guerre, l'Union soviétique avait écrasé les forces allemandes et se trouvait à quelques kilomètres de Berlin On estime qu'un citoyen soviétique sur sept, soit quelque 27 millions de personnes, est mort dans le conflit - dont les deux tiers étaient des civils. Certains universitaires avancent des chiffres encore plus élevés. Les villes et les terres les plus riches du pays ont été dévastées par le conflit. L'industrie, les fermes, les maisons et même les routes ont été rayées du paysage. Lire aussi : Le Palais de l'ancien Tsar de Russie, Nicolas 2, où s'est tenue la conférence de Yalta. (Capture d'écran) Quels étaient les objectifs des dirigeants ? Joseph Staline était déterminé à remettre son pays sur pied. Il est venu à Yalta à la recherche d'une sphère d'influence en Europe de l'Est comme zone tampon pour protéger l'URSS. Il voulait également diviser l'Allemagne, s'assurer qu'elle ne constituerait plus jamais une menace, et prendre d'énormes réparations - en argent, en machines et même en hommes - pour aider sa nation brisée. Lire aussi : Staline savait qu'il aurait besoin de l'acceptation des puissances occidentales pour y parvenir. Winston Churchill comprenait les objectifs de Staline. Les deux hommes s'étaient rencontrés à Moscou en octobre 1944 et avaient discuté de l'idée de faire de l'Europe une sphère d'influence pour l'URSS et les puissances occidentales. Il comprenait également que les millions de soldats soviétiques qui avaient poussé l'Allemagne hors de l'Europe centrale et orientale étaient bien plus nombreux que les forces alliées à l'ouest - et que le Royaume-Uni ne pouvait rien faire si Staline décidait de les y maintenir. Winston Churchill arrivant à la Conférence de Yalta. (Capture d'écran) Le Royaume-Uni avait déclaré la guerre en septembre 1939 parce que l'Allemagne avait envahi son allié, la Pologne, et Churchill était déterminé à assurer la liberté du pays. Cependant, le Royaume-Uni avait également payé un lourd tribut à la victoire et était désormais en faillite. Churchill espérait que les États-Unis le soutiendraient et s'opposeraient à Staline. Mais le président américain Roosevelt avait ses propres priorités. Il voulait que Staline s'engage auprès des Nations unies - un nouvel organisme mondial de maintien de la paix pour le monde de l'après-guerre. L'hôtel Livadia à Yalta, en Crimée, qui a abrité la conférence des trois Grands. Le professeur Melvyn Leffler, de l'université de Virginie, a déclaré à la BBC que Roosevelt était bien conscient du fait que l'acrimonie entre les alliés après la Première Guerre mondiale avait conduit les États-Unis à se retirer de la politique mondiale dans les années 1920 et 1930. \"Ce que Roosevelt voulait avant tout, c'était éviter un retour à l'isolationnisme américain\", a-t-il déclaré. Birame Senghor: \"la France a tué mon père en 1944\" Le président voulait également que l'Union soviétique déclare la guerre au Japon. Bien que le vent ait tourné de façon spectaculaire contre l'Empire japonais, leurs forces infligeaient encore de lourdes pertes aux forces américaines en progression dans le Pacifique. L'anxiété d'une invasion sanglante des îles japonaises occupait une place importante dans la réflexion stratégique américaine. Le hall de l'hôtel Livadia où s'était déroulée la conférence de Yalta. Que s'est-il passé à Yalta ? Bien que Roosevelt ait voulu se rencontrer quelque part en Méditerranée, Staline - qui avait peur de l'avion - a plutôt proposé Yalta. Les discussions de groupe ont eu lieu du 4 au 11 février à la résidence de la délégation américaine, le palais de Livadia, qui fut autrefois la résidence d'été du dernier Tsar russe, Nicolas II. Les trois dirigeants s'étaient déjà rencontrés auparavant, à Téhéran en 1943. Roosevelt était plus disposé à faire confiance à Staline que Churchill, qui voyait dans le dirigeant soviétique une menace de plus en plus dangereuse. Les discussions du groupe au sommet de Yalta ont eu lieu au palais de Livadia Après une semaine de discussions, les trois grands ont annoncé leurs décisions au monde entier. Après sa reddition inconditionnelle, l'Allemagne serait brisée. Les dirigeants se sont mis d'accord sur le principe de quatre zones d'occupation, une pour chaque pays à Yalta et aussi pour la France, ainsi que sur la même division de Berlin. Une déclaration a également été émise, l'Allemagne paierait des réparations \"dans la plus large mesure possible\" et qu'une commission serait créée à Moscou pour déterminer combien ils devaient. Les dirigeants ont également convenu d'organiser des élections démocratiques dans toute l'Europe libérée - y compris pour la Pologne, qui aurait un nouveau gouvernement \"avec l'inclusion de dirigeants démocratiques de la Pologne elle-même et de Polonais de l'étranger\". Quand le président Erdogan lutte pour rester éveillé lors d'une conférence de presse L'Union soviétique avait déjà mis en place un gouvernement communiste provisoire à Varsovie, dont ils ont convenu qu'il serait élargi. Mais la démocratie signifiait quelque chose de très différent pour Staline. Bien qu'il ait publiquement accepté la tenue d'élections libres pour l'Europe libérée, ses forces s'emparaient déjà des principaux bureaux de l'État dans les pays d'Europe centrale et orientale pour les partis communistes locaux. De plus, les dirigeants ont décidé - à l'instigation de Staline - que les frontières de la Pologne devaient se déplacer vers l'ouest, donnant ainsi des terres à l'URSS. Les États baltes allaient également rejoindre l'Union soviétique. Berlin a été une ville divisée jusqu'en 1989 L'historienne Anne Applebaum a écrit dans son texte \"Rideau de fer\" que les dirigeants \"ont décidé du destin de pans entiers de l'Europe avec une insouciance étonnante\". Roosevelt a demandé \"sans enthousiasme\" à Staline si la ville de Lwow pouvait rester une partie de la Pologne, mais il n'a pas poussé l'idée, et elle a été rapidement abandonnée. Roosevelt était plus concentré sur son plan pour les Nations Unies, et son souhait a été exaucé. Les trois nations se mirent d'accord pour envoyer des délégués à San Francisco le 25 avril 1945, afin d'aider à mettre en place la nouvelle organisation internationale. Les alliés de l’Irak se sont engagés à débloquer près de 25 milliards de dollars. De plus, Staline s'est engagé à lancer une invasion du Japon trois mois après la défaite de l'Allemagne. Après le sommet, Churchill reste profondément préoccupé par la situation en Europe de l'Est, malgré les accords. Il a exhorté ses forces et les Américains à se déplacer le plus à l'est possible avant la fin de la guerre. Une voiture de marque britannique franchit le point de contrôle Charlie à Berlin. Que s'est-il passé ensuite ? En quelques mois, la situation politique a changé de manière spectaculaire. Roosevelt est mort d'une hémorragie cérébrale massive en avril, et a été remplacé par Harry Truman. L'Allemagne se rendit sans conditions en mai. Et le 16 juillet, les États-Unis ont testé avec succès leur nouvelle arme secrète - la bombe nucléaire. Lire aussi : Le jour suivant, le président Truman a rencontré Winston Churchill et Joseph Staline à la conférence de Potsdam, près de Berlin. Truman ne connaissait pas Staline de vue, et n'était président que depuis quatre mois. Winston Churchill, au pouvoir depuis mai 1940, est remplacé à mi-parcours de la conférence par Clement Atlee après les élections générales de 1945. Clement Attlee, Harry Truman et Joseph Staline se sont rencontrés à Potsdam après la fin de la guerre en Europe L'ambiance à la conférence était très différente. Les responsables politiques américains se sont sentis plus confiants après avoir pris conscience de la puissance de la bombe atomique. Truman était beaucoup plus sceptique à l'égard de Staline que Roosevelt ne l'avait été. Lui et ses conseillers pensaient que l'URSS n'avait aucune envie de s'en tenir aux accords de Yalta. En moins de deux ans, le président américain a annoncé la \"doctrine Truman\", qui promettait la puissance américaine pour contenir les efforts d'expansion soviétique dans le monde. La guerre froide avait commencé. L'accord de Yalta dévoilé. Exposé aux Archives nationales à Washington en 1945. Churchill et Roosevelt furent plus tard critiqués pour avoir cédé la place à Staline à Yalta. Mais en pratique, les États-Unis et le Royaume-Uni ne pouvaient pas faire grand-chose. Staline avait déjà des troupes dans toute l'Europe centrale et orientale. Après Yalta, Churchill a commandé un plan d'attaque contre l'URSS - nom de code \"Operation Unthinkable\" - mais les planificateurs militaires britanniques ont réalisé que ce plan était totalement irréaliste. Selon le professeur Leffler, \"ce que Yalta a fait en ce qui concerne l'Europe de l'Est a simplement consisté à reconnaître les réalités du pouvoir qui existait à l'époque\". Regarder : Le grand show de Poutine"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50292626", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50289089", "doc1": "পলিউশান মাস্ক বা দূষণ-নিরোধী মুখোশ পরে একজন দিল্লিবাসী যার ফলে রোজ প্রায় অর্ধেক প্রাইভেট ভেহিকল রাস্তা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু শহরে দূষণ যে সাঙ্ঘাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে এই ধরনের পদক্ষেপ আদৌ কোনও কাজে আসবে কি না, তা নিয়েও চলছে তুমুল বিতর্ক। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই 'জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা' ঘোষণা করা হয়েছে - যার ফলে স্কুল-কলেজ বন্ধ, শিশু ও বৃদ্ধদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হচ্ছে। শহর ছেয়ে আছে গাঢ় ধোঁয়াশায়, লোকেরা নানা শারীরিক উপসর্গে ভুগছেন। কিন্তু দিল্লিবাসী কীভাবে এই অসহনীয় পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচছেন? দূষণের দিল্লিতে ভুগছেন বিদেশি পর্যটকরাও সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম মধ্য দিল্লির একটি সদাব্যস্ত ট্র্যাফিক মোড় আর ঘিঞ্জি বাজার এলাকা করোলবাগে। বাস-অটো-গাড়ি-স্কুটার-বাইক-রিক্সায় সোমবারের বিকেল সেখানে ভিড়ে ভিড়াক্কার, তার মধ্যে ছাই-ছাই ধোঁয়াশার আস্তরণ ঢেকে রেখেছে গোটা আকাশ। গৃহবধূ নীলম কাপুর বিবিসিকে বলছিলেন, \"শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে - আমার চোখে চশমা, তারপরও চোখে সারাক্ষণ জ্ব��লাজ্বালা করে।\" \"আধঘন্টা ড্রাইভ করে ঘরে ফিরি, তারপরও বহুক্ষণ মাথাটা ভার হয়ে থাকে।\" অটোচালক সুরাজ কুমারকে রুটির জন্য রোজ পথে নামতেই হয়, কিন্তু দুচার ঘন্টা চালানোর পর তারও অসম্ভব কষ্ট শুরু হয়ে যায় - মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। দিল্লিতে পুলিশ সোমবার থেকেই প্রয়োগ করছে জোড়-বিজোড় গাড়ি চালানোর নিয়ম \"কিন্তু উপায় নেই বলে রাস্তায় থাকতেই হয়\", দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছিলেন তিনি। দিল্লির পার্কগুলোতে যারা জগিং বা হাঁটাহাঁটি করেন, তাদেরও রুটিন বিপর্যস্ত। ডিয়ার পার্কে এক তরুণী যেমন বলছিলেন, \"দূষণের এখন ওয়ার্কআউট করলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে।\" বস্তুত দিল্লি শহরটা - যাকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই তুলনা করেছেন একটা 'গ্যাস চেম্বারে'র সঙ্গে - শহরের সবাইকে যেন একসঙ্গে রোগী বানিয়ে তুলেছে। দিল্লির লাং কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড: অরবিন্দ কুমারের কথায়, \"বাতাসে এই পর্যায়ে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ থাকলে তা থেকে চোখের যন্ত্রণা, লাল হয়ে চোখ থেকে জল পড়া, নাক জ্বালা জ্বালা করা, গলায় ইরিটেশন হবেই।\" ভরদুপুরেও দিল্লির আকাশে ঘন ধোঁয়াশার চাদর \"অ্যাস্থমা বা হাঁপানি রোগীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় এটা - যাদের ইনহেলার লাগত না তাদেরও এখন লাগছে।\" \"যারা দিনে দুবার নিতেন তারা চারবার নিচ্ছেন। অনেককে স্টেরয়েডও নিতে হচ্ছে।\" এই পটভূমিতে দিল্লিতে আজ থেকে যে জোড়-বিজোড় গাড়ি চলাচলের নিয়ম চালু হল, তা নিয়েও কিন্তু মানুষজন দ্বিধাবিভক্ত। ময়ূর বিহারের মিথিলেশ শর্মা যেমন বলছেন, \"যান-চলাচল কিন্তু দূষণের তেমন বড় উৎস নয়।\" \"মানুষের জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন, দিল্লির আশেপাশে অসংখ্য দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানাগুলোই মূল সমস্যা। কাজেই অড-ইভেন করে বিশেষ কোনও ফারাক হবে না।\" জোড়-বিজোড় নিয়ম চালু করার আগে দিল্লিতে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ নিত্যযাত্রী সুনীতা রাও আবার এখানে কিছুটা ভিন্নমত, রাস্তায় গাড়ি কমলে বাতাস কিছুটা ভাল হবে বলেই তার বিশ্বাস। তবে তিনি মনে করেন, \"মাত্র দিন পনেরোর জন্য নয় - জোড় বিজোড় গাড়ির পদ্ধতি স্থায়ীভাবে চালু হলে দূষণ পরিস্থতির উন্নতি হতে বাধ্য!\" তবে এত সাঙ্ঘাতিক দূষণের পরও দিল্লিতে একটা মানসিকতার সমস্যা রয়েই গিয়েছে। এই শহরে দূষণ মোকাবিলায় সব মানুষ কিন্তু নিজের অভ্যাস, শখ-শৌখিনতা ছাড়তে প্রস্তুত ন��। সীমাপুরির নিম্নবিত্ত কলোনির এক বাসিন্দা যেমন বলছিলেন, \"দিওয়ালিতে বাজি-পটকা না ফাটানোর জন্য কত বলা হল, মানুষ কি সে সব শুনল না কি? দূষণ তো যে-কে সেই হলই।\" দিল্লিতে পরিবেশবিদ অনুমিতা রায়চৌধুরী আসলে ধর্মীয় উৎসবের দোহাই দিয়ে অনেকেই যেমন দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানো ছাড়তে চান না, তেমনি অনেকে একদিনের জন্যও গাড়িতে চেপে কাজে আসার আরাম ত্যাগ করতে রাজি নন। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের ডিরেক্টর অনুমিতা রায়চৌধুরী তাই বলছিলেন, \"আমি বলব আমাদের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত চেঞ্জগুলো আনার ক্ষেত্রে একটা বিরাট রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধ কিন্তু রয়েই গিয়েছে।\" \"সোজা কথায়, দৈনন্দিন জীবনে যে সহজ ছোটখাটো পরিবর্তনগুলো আনলে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও সহজ হত আমরা সেগুলো যথেষ্ঠ পরিমাণে আনতে পারছি না।\" \"অথচ অবাক লাগে, শহরটা যখন এমন মারাত্মক দূষণের কব্জায়, মানুষ যখন শ্বাস পর্যন্ত নিতে পারছে না - তখন কিন্তু আমরা মানুষের মধ্যে প্রচন্ড রাগ দেখি, সবাই সমস্বরে বলেন এভাবে আর চলতে পারে না।\" জোড়-বিজোড়ের প্রথম দিনেই দিল্লির রাজপথে গাড়ির সংখ্যা কমেছে, তবে কমেনি ধোঁয়াশা \"পলিউশান মাস্ক বা এয়ার পিউরিফায়ার কেনার কথা তারা বলতে পারেন অনায়াসেই।\" \"অথচ তাদেরই জীবনযাত্রায় যখন এর জন্য ছোটখাটো পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়, তারাই আবার বেঁকে বসেন\", আক্ষেপের সুরে বলছিলেন মিস রায়চৌধুরী। ফলে রেকর্ড দূষণে হাঁসফাঁস করলেও দিল্লিতে সরকার বা নাগরিকরা কিন্তু এখনও একমত হতে পারছেন না এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পথ কী!", "doc2": "Une femme portant un masque de protection attend le bus public dans des conditions de brouillard à New Delhi le 4 novembre 2019. Du 4 au 15 novembre, seules les voitures avec des plaques d'immatriculation impaires ou paires seront autorisées sur les routes chaque jour, ont déclaré les autorités. Un tel système a déjà été utilisé, mais il n'est pas certain qu'il contribue réellement à réduire la pollution. Lire aussi: Les niveaux de particules dangereuses dans l'air - connues sous le nom de PM2,5 - sont largement supérieurs à dix fois les limites de sécurité. Cependant, on ne pense pas que les voitures soient la principale cause de la toxicité de l'air à Delhi, les experts indiquent plutôt que les agriculteurs des États voisins brûlent les cultures pour défricher les champs. Les autorités sanitaires ont demandé aux gens de rester à l'intérieur et de s'abstenir de toute activité physique, car des millions d'entre eux sont exposés au risque de maladies respiratoires. Les écoles sont fermées jusqu'à mardi et la fermeture sera probablement prolongée jusqu'à vendredi, car la ville continue de s'étouffer sous une épaisse couche de brouillard de pollution. Le ministre en chef de Delhi, Arvind Kejriwal, a déclaré que le système de rationnement des voitures, connu sous le nom de \"plan du pair-impair\", retirerait des centaines de milliers de voitures de la circulation. Ceux qui ne respectent pas cette règle se verront infliger une amende de 4 000 roupies (32.934 FCFA), soit le double de celle des années précédentes. Seuls les transports publics, les véhicules d'urgence, les taxis et les deux-roues seront autorisés. Les femmes qui conduisent seules seront également exemptées de la règle. Quelle est la cause de la pollution ? Les experts affirment que les émissions des véhicules ne sont qu'un des nombreux facteurs qui ont fait de la ville - selon M. Kejriwal - une \"chambre à gaz\". L'une des principales causes des niveaux élevés de pollution à cette époque de l'année est le fait que les agriculteurs des États voisins brûlent du chaume pour défricher leurs champs. La qualité de l'air à Delhi s'est détériorée à des niveaux dangereux Cela crée un cocktail mortel de matières particulaires - dioxyde de carbone, dioxyde d'azote et dioxyde de soufre - le tout aggravé par les feux d'artifice déclenchés lors du festival hindou de Diwali, il y a une semaine. Les émissions des secteurs de la construction et de l'industrie ont également contribué au brouillard de pollution. Lire également: Les efforts visant à identifier une cause ont déclenché une querelle entre les politiciens des États et les politiciens fédéraux, alors que M. Kejriwal a appelé les États voisins du Punjab et du Haryana à sévir contre les incendies de cultures. Le ministre fédéral de l'Environnement, Prakash Javadekar, a accusé M. Kejriwal de politiser la question et de peindre ses voisins \"en méchants\". Mais les Indiens ordinaires espèrent simplement que les pluies éparses de la semaine prochaine feront disparaître les polluants. Toutefois, cela n'est pas attendu avant jeudi. Quelle est l'intensité du brouillard de pollution ? Il n'y a pas moyen d'échapper au brouillard oppressant qui s'est abattu sur la ville. Selon Siddharth Singh, chercheur en politique climatique et auteur de The Great Smog of India, l'air à Delhi \"sent comme des feuilles en feu\". \"C'est enfumé. Les yeux démangent. La gorge est aussi un peu irritée. Et tout le monde le ressent \", a-t-il déclaré à la BBC. Le niveau de PM2,5 - de minuscules particules qui peuvent pénétrer profondément dans les poumons - était à un moment donné sept fois plus élevé que dans la capitale chinoise, Pékin, qui a connu des problèmes de pollution similaires ces dernières années. Un fonctionnaire du ministère indien de la Santé a déclaré que les contrôleurs de la pollution de la ville n'avaient pas assez de chiffres pour enregistrer avec précision les niveaux de pollution, ce qu'il a qualifié de \" catastrophe \". Cinq millions de masques ont été distribués dans les écoles vendredi alors que les autorités déclaraient une urgence de santé publique. Pourquoi cela a-t-il été si mauvais ces dernières années ? Cela s'explique en partie par un changement des cycles de culture et de récolte dans les États agricoles du Pendjab et de l'Haryana. Il y a dix ans, les deux États ont adopté des lois identiques visant à préserver les eaux souterraines, ce qui a effectivement contraint les agriculteurs à planter leurs cultures de riz à la mi-juin plutôt qu'à la fin avril comme le veut la tradition. Cela devait leur permettre d'utiliser les pluies de mousson pour cultiver cette culture fortement tributaire de l'eau. Le retard du cycle de plantation a également influé sur le cycle de récolte. Les agriculteurs ont maintenant beaucoup moins de temps pour préparer leurs champs pour le prochain cycle de culture et le brûlage du chaume est un moyen bon marché et efficace pour défricher la terre. Malheureusement, cela coïncide avec l'évolution de la configuration des vents sur Delhi et le reste du nord de l'Inde. \"La tempête parfaite de novembre a créé des concentrations atmosphériques de particules fines de près de 30 % plus élevées dans l'atmosphère \", selon une étude de l'Université Cornell publiée en juillet. La géographie de Delhi - elle est enclavée et se trouve sur une plaine plate qui est bloquée par l'Himalaya - signifie qu'elle est plus fortement affectée. Et le trafic de la mégapole contribue également au problème. Comment fonctionne le plan du pair impair ? Des centaines d'équipes de la police, du service des transports et de volontaires civils ont été déployées pour faire appliquer le système, qui avait été utilisé en 2016 et 2017. Il est probable que cela exercera une pression supplémentaire sur le système de transport public, mais les responsables affirment qu'ils vont augmenter les services. Vous pourrez aussi être intéressé par: Si votre plaque d'immatriculation se termine par un, trois, cinq, sept ou neuf, vous ne pouvez conduire qu'aux dates impaires (5,7,9,11,13 et 15 novembre) et si elle se termine par zéro, deux, quatre, six ou huit, vous pouvez conduire aux dates paires (4,6,8,12 et 14 novembre). Les restrictions sont en vigueur du lundi au samedi de 8 h à 20 h et s'appliqueront également aux voitures en provenance de l'extérieur de la ville. Le dimanche est gratuit pour tous. Contrairement aux années précédentes, les véhicules fonctionnant avec un carburant plus propre comme le GNC (gaz naturel comprimé) devront adhérer au système, bien que les véhicules électriques soient toujours exemptés. Le ministre en chef de Delhi et les autres ministres d'État ne sont pas exemptés, bien qu'il y ait une liste assez longue de ceux qui ont été exemptés de la règle. Il s'agit notamment du président et du premier ministre, de diplomates étrangers, de femmes conduisant seules ou avec seulement des passagères, et de voitures en route pour l'hôpital si elles peuvent prouver qu'il s'agit d'une urgence."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48757640", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48826921", "doc1": "কে, কবে, কখন ও কেন প্রথম কথা বলেছিল? \"পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি,\" বলেছেন নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান। ভাষার মাধ্যমে এই যে ভাবের বিনিময়, কথার আদান প্রদান, সেটাকে দেখা হয় বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে। সবকিছুকে বদলে দিয়েছে এই ভাষা। আর একারণেই মানুষ ভাষার উৎস সম্পর্কে জানতে দারুণ উৎসাহী। \"জটিল যতো বিষয় আছে তার একটি এই ভাষা এবং এটিই আমাদের মানুষ বানিয়েছে, বলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব বিবর্তন বিভাগের শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ফোলি। মানুষকে বুঝতে হলে তার ভাষাও বুঝতে হবে। ভাষার বয়স কতো বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষ সাড়ে ছ'হাজারের মতো ভাষায় কথা বলে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা কোনটি? সবচেয়ে পুরনো ভাষার নাম জানতে চাইলে আমরা অনেকেই ভাবি ব্যাবিলনীয়, সংস্কৃত কিম্বা মিশরীয় ভাষার কথা। কিন্তু অধ্যাপক টলারম্যান বলছেন, এসব ভাষা তার ধারে-কাছেও নেই। সাধারণত আমরা বলি যে ভাষা ছ'হাজার বছর পুরনো। কিন্তু ভাষার প্রকৃত উৎস যদি খুঁজে দেখতে হয় তাহলে অন্তত ৫০ হাজার বছর পেছনে ফিরে যেতে হবে। বহু ভাষাবিজ্ঞানী মনে করেন, ভাষার ইতিহাস আসলে এর চেয়েও পুরনো। \"আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ভাষার উৎপত্তি পাঁচ লাখ বছর আগেও হতে পারে,\" বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। ভাষার উৎস খুঁজতে আমাদের কতো পেছনে যেতে হবে? একই পূর্বপুরুষ পৃথিবীতে যতো ভাষা আছে সেগুলোর চরিত্র আলাদা আলাদা হলেও \"এটাও সম্ভব যে বর্তমানে সব ভাষাই একজন পূর্বপুরুষের কাছ থেকে এসেছে,\" বলেন অধ্যাপক ফোলি। জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের ইতিহাসের সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা ভাষা কবে শুরু হয়েছিল তার কাছাকাছি যেতে পেরেছেন। জিন-বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুসারে আমরা কমবেশি সবাই এসেছি আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। ভাষার এই তালিকার বাইরেও হয়তো অন্যান্য ভাষাও থাকতে পারে, কিন্তু আজকের দিনে যেসব ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় সেগুলোর সবই সম্ভবত একই ভাষা থেকেই বিবর্তিত হয়ে���ে। জীবাশ্ম থেকে অনেক কিছু জানা সম্ভব। জীবাশ্ম থেকে প্রমাণ আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবাশ্ম থেকে কিছু ধারণা পাওয়া যায় যে আমরা ঠিক কবে থেকে কথা বলতে শুরু করেছিলাম। অধ্যাপক ফোলি বলছেন, \"কথা হচ্ছে একধরনের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া। এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আমরা শব্দ তৈরি করে থাকি।\" এটা করার জন্যে শরীরের পেশীর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হয়। \"আমাদের বক্ষ এবং উদরের মাঝখানে যে ঝিল্লির পর্দা সেটি অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাছাকাছি যে প্রাণী, অর্থাৎ বানর বা এইপ, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ঝিল্লির তুলনায় আমাদের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বহুগুণে বেশি।\" এসব নার্ভের অর্থ হচ্ছে \"আমাদের স্পাইনাল কর্ড এইপের স্পাইনাল কর্ডের চেয়ে মোটা এবং আমাদের ভার্টিব্রাল কলামও একটু বেশি প্রশস্ত। নিয়েন্ডারথাল নামে আমাদের যে আত্মীয় বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা ছ'লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচে ছিল, তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তাদের স্পাইনাল কলামও প্রশস্ত ছিল। কিন্তু আপনি যদি দশ লাখ বছর আগের হোমো ইরেক্টাসের দিকে তাকান, যারা মানবজাতির প্রাচীনতম পূর্বপুরুষ, তাদের দেহে এরকম ছিল না। এ থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় যে মানুষ কবে থেকে কথা বলতে শুরু করেছিল। কারা কথা বলেছিল প্রথম? জিন-বিজ্ঞানের ভূমিকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্মের রেকর্ডের বাইরেও জিন-বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে ভাষার বয়স জানা সম্ভব হচ্ছে। \"এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন আছে। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন,\" বলেন অধ্যাপক ফোলি। \"জিনের এই রূপান্তর গবেষণা করেও বোঝা যায় কেন মানুষ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিম্পাঞ্জি পারে না। কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।\" মজার বিষয় হচ্ছে, এখনকার মানুষদের মতো নিয়েন্ডারথালদেরও এই এফওএক্সপিটু ধরনেরই জিন ছিল। এর ফলে ধারণা করা যায় যে তাদের মধ্যেও কোন না কোন ধরনের কথা বা ভাষা ছিল। তবে তাদের সেই ভাষা সম্পূর্ণ এবং উন্নত ছিল কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। অধ্যাপক টলারম্যান বলছেন, কথার সাথে ভাষার তফাৎ আছে। তবে কী কারণে কথা একসময় ভাষা হয়ে উঠে সেটা জিনগত তথ্যপ্রমাণ থেকে নির্ণয় করা কঠিন। আকারে বড় ��ওয়া সত্ত্বেও বিলুপ্ত হয়ে গেছে নিয়েন্ডারথাল। মস্তিষ্কের আকার আদি-মানবের মাথার খুলির আকৃতি থেকে কি ভাষার উৎপত্তির সময় খুঁজে বের করা সম্ভব? অবশ্যই না। সবচেয়ে সহজ কারণ হলো আমরা ঠিক জানি না যে একটি ভাষা তৈরির জন্যে কতো বড় মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয়। \"নিয়েন্ডারথালসের মস্তিষ্ক আমাদের চেয়েও বড় ছিল। কারণ প্রাণী হিসেবেও তারা বড় ছিল,\" বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। প্রথম শব্দ কী ছিল আমরা যখন মানবজাতির শুরুর দিকের ভাষা নিয়ে কথা বলছি, আমরা কি বলতো পারবো তখন মানুষের মুখ থেকে প্রথম কোন শব্দটি উচ্চারিত হয়েছিল? \"সৎ উত্তর হচ্ছে: আমাদের আসলে কোন ধারণাই নেই,\" বলেন প্রফেসর ফোলি। মানব ইতিহাসের শুরুর দিকে যে শব্দগুলো চালু ছিল বলে ধারণা করা হয় সেগুলোর অর্থ হতে পারে 'ঈগল', 'চিতা' অথবা 'দেখো।' অনেকে মনে করেন, আমাদের পরিবেশের আশেপাশে সহজ ও সুনির্দিষ্ট কোন জিনিসই হয়তো মানুষের মুখ থেকে প্রথম এসেছিল। প্রথম শব্দ হয়তো ব্যাকরণ মেনে হয়নি। আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে প্রথম দিককার শব্দগুলোর মধ্যে এমন শব্দগুলোই ছিল যেগুলো আমরা এখন সবসময় ব্যবহার করি। যেমন: ইশ, হেই, ওয়াও, থ্যাংকস, গুডবাই- এধরনের শব্দ। এসব শব্দ প্রায় সব ভাষাতেই আছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে মিল হচ্ছে যে এসবের কোন সিনটেক্স বা ব্যাকরণ নেই। খাওয়ার সময় ভাষা তৈরি হয়েছিল? মানবজাতির শুরুতে কথা বলা শুরু হয়েছিল একে অপরকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি খাদ্য গ্রহণ করতে গিয়েও। আমাদের পূর্বপুরুষরা বড় বড় শিকারি প্রাণীদের হাতে নিহত পশুর মৃতদেহ থেকে মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করতো। \"হায়েনাদের হাতে নিহত পশুদের মরদেহ থেকে মাংস খেতে হলে আপনার সাথে আরো কিছু মানুষের প্রয়োজন হতো। কারণ এটা একটা বিপদজনক কাজ ছিল,\" বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। আদিম জীবনের একটি চিত্র। \"আপনি যখন খাবারের খোঁজে ঘর থেকে বের হলেন, একটা পশুর ভালো মৃতদেহও খুঁজে পেলেন এবং আপনার গ্রুপের লোকজনদের জানাতে চান যে আশেপাশেই ভালো খাবার আছে তখন তো একটা ভাষার দরকার হবে,\" বলেন তিনি। বিজ্ঞানীদের ধারণা খাদ্য গ্রহণের তাড়না এবং বেঁচে থাকার চেষ্টার কারণে মানুষের মধ্যে একে অপরকে জানানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। পরচর্চা বা গসিপের ভূমিকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, একসাথে মিলে কাজ করার ক্ষমতা থেকেও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা তৈরি হয়েছে। \"পরস্পরকে সহযোগিতা করাই এক্ষেত্রে পালন ���রেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বলেন অধ্যাপক ফোলি, \"বিশেষ করে জোটবদ্ধ হওয়া এবং চারপাশে কী হচ্ছে সেটা জানার চেষ্টা করা।\" \"এই আড্ডা মারার মতো করে কথা বলার গুরুত্বও কম ছিল না। টুকটাক কথা বলা, পরচর্চা বা গসিপ এগুলো প্রতিদিনেরই অংশ,\" বলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইতিহাসবিদ ড. লরা রাইট। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে চীনা ভাষা ইদানিং কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিশ্বের যে ভাষাগুলোকে সবচেয়ে দক্ষ ভাষা বলা হয় ইংরেজি ভাষার দিন কি ফুরিয়ে এসেছে", "doc2": "Avoir le dernier mot pourrait être votre spécialité... mais qui a eu le premier ? Est-il possible de retracer les milliers de langues qui existent aujourd'hui jusqu'à un seul ancêtre ? L'auteur et amoureux de la langue Michael Rosen enquête sur.... Une évolution qui change la donne \"Si nous voulons comprendre l'être humain, nous devons comprendre le langage \", dit le professeur Robert Foley. \"Les êtres humains sont les seules espèces qui ont un langage, ce qui nous rend uniques parmi tous les animaux \", dit Maggie Tallerman, professeur de linguistique à l'Université de Newcastle. Cette capacité à converser est considérée comme l'une des transitions majeures de l'évolution - un véritable changement des règles du jeu pas comme les autres, et pour cette raison, les gens ont longtemps été fascinés par les origines de la langue. \"La langue est l'une des petites choses complexes qui nous rendent humains \", estime Robert Foley, anthropologue et professeur d'évolution humaine à l'Université de Cambridge. La timidité expliquée par la science La langue pourrait avoir un demi-million d'années Si vous pensez que les hiéroglyphes sont \"anciens\", vous devez y repenser. Il y a plus de 6 500 langues dans le monde de nos jours, mais comment les scientifiques peuvent-ils déterminer laquelle est la plus ancienne ? Si l'on nous demande de nommer une \"langue ancienne\", nous pourrions penser à la babylonienne, au sanskrit ou à l'égyptien ancien. Mais ce n'est pas le début de l'histoire, selon le professeur Tallerman : la plupart de ce que nous appelons les langues anciennes n'ont pas plus de 6 000 ans, et sont fondamentalement les mêmes que toutes les langues modernes d'aujourd'hui. L'origine réelle de la langue remonte à au moins 50 000 ans, et la plupart des linguistes pensent qu'elle est beaucoup plus ancienne que cela. \"Beaucoup d'entre nous pensent qu'elle pourrait remonter jusqu'à un demi-million d'années en arrière \", dit le professeur Tallerman. Le berbère enseigné dans les écoles marocaines Un ancêtre commun Jusqu'où devons-nous remonter pour trouver notre langue commune ? Malgré la richesse des différentes langues dans le monde d'aujourd'hui, il est \" possible que toutes nos langues actuelles soient issues d'un ancêtre commun \", affirme le professeur Foley. La datation a été rendue possible en partie grâce à la biologie de notre évolution : la génétique suggère que nous venons tous d'une population relativement petite en Afrique. Bien qu'il ait pu y avoir d'autres langues en dehors de cette lignée, celles que nous voyons aujourd'hui sont probablement toutes issues de modifications de la même langue. Témoignages de fossiles Les os fossilisés peuvent nous en dire plus que vous ne le pensez.... Les fossiles de nos ancêtres nous donnent quelques indices sur le moment où nous avons commencé à parler. \"D'une certaine façon, la parole est une respiration fantaisiste, note le professeur Foley selon qui, nous ne faisons que respirer avec un énorme contrôle pour produire des sons. Pour ce faire, nous avons besoin d'avoir un contrôle musculaire fin sur notre corps, et en tant que tel, \"notre diaphragme est plus innovant et a beaucoup plus de nerfs qui y pénètrent que le diaphragme de nos parents les plus proches, les singes, qui ne parlent pas\". Tous ces nerfs font que \"notre moelle épinière est un peu plus épaisse dans cette zone que chez les singes, et la colonne vertébrale doit aussi être un peu plus large\". Si vous regardez nos cousins évolutionnaires disparus, les Néandertaliens qui ont vécu il y a environ 600 000 ans, ils ont cette expansion dans la colonne vertébrale. Mais si vous remontez un million d'années en arrière à Homo erectus, une espèce humaine archaïque antérieure, l'expansion n'existe pas. Cela nous donne une période de temps rudimentaire pour le moment où les humains ont commencé à utiliser le langage. L'Afrique, l'avenir de la langue française? La génétique joue aussi un rôle Quel hominidé a été le premier à parler ? Au-delà de l'étude des fossiles, les progrès de la génétique fournissent également de nouvelles méthodes de datation du langage. \"Il existe un gène appelé FOXP2, qui est commun chez tous les primates, souligne le professeur Foley, mais en tant qu'humain nous avons une version mutante. Les mutations de ce gène \"pourraient aider à expliquer pourquoi les humains peuvent parler, mais pas les chimpanzés. Nous savons qu'il joue un rôle crucial dans le développement de la parole et du langage, car les personnes qui ont la forme non mutante du gène ont souvent des problèmes de production et de syntaxe de la parole.\" Il est intéressant de noter que les Néandertaliens avaient la même variante de la FOXP2 que les humains modernes, ce qui appuie la théorie selon laquelle ils possédaient une certaine forme de parole. Mais la question de savoir s'ils avaient un langage pleinement développé est une toute autre affaire. Selon le professeur Tallerman, la parole (le son réel de la langue parlée) n'équivaut pas à la langue (tout un système de mots et de symboles) et \"ce qui fait que la langue est très difficile à détecter à partir de preuves génétiques dans l'état actuel des connaissances\". Un frigo écologique \"Made in\" Tchad Taille du cerveau La taille compte, mais plus grand ne signifie pas toujours mieux - les Néandertaliens ont disparu, même s'ils ont un cerveau plus gros que celui des humains. La taille du crâne des premiers humains peut-elle aider à dater le langage ? Pas vraiment. Pour la simple raison que nous ne savons pas la taille du cerveau qu'il faut pour créer un langage. \"En fait, les Néandertaliens avaient un cerveau plus gros que le nôtre parce qu'il s'agissait d'animaux plus gros \", explique le professeur Tallerman. ‘Le dernier esclave des Etats-Unis’ venait du Bénin Le premier mot humain aurait pu être \"hé !\" \"Wow !\", \"Pst !\" ou \"shh !\" ne semblent peut-être pas très éloquents, mais pourraient être les premiers mots que les humains ont partagés. Lorsque nous parlons d'un proto-langage - un proto-langage qui précède le type de langue que vous êtes en train de lire - pouvons-nous dire quels ont pu être les premiers mots ? \"La réponse honnête est : nous n'en avons aucune idée \", dit le professeur Foley. En regardant les primates à la recherche d'indications possibles, nous constatons qu'ils ont ce que les primatologues appellent des \"mots\" pour les prédateurs - ils font des sons que les autres membres du groupe reconnaîtront, comme \"aigle\", \"léopard\", ou peut-être simplement \"attention\" ! On pourrait dire que ces choses très simples et concrètes dans l'environnement qui nous entoure auraient été les premiers mots prononcés par les humains. Une autre théorie est que les premiers mots étaient comme les autres mots de base que nous avons aujourd'hui, comme \"shh\", \"psst\", \"hé !\", \"wow\", \"merci\" ou \"au revoir\". Tous ces mots se retrouvent dans toutes les langues, mais la seule chose qu'ils ont en commun, c'est qu'ils n'ont pas de syntaxe - c'est alors que nous arrangeons les mots et les phrases pour créer des phrases bien formées dans une langue. Une Chinoise fait la promotion du mandarin en Ouganda L'heure des repas pourrait être à l'origine du développement du langage \"Alors, pour les mammouths frais, prenez le premier chemin à gauche, après le ruisseau, juste après le gros rocher, et tout droit à travers les bois... vous ne pouvez pas le manquer, vraiment\" Les premiers humains \" ont peut-être commencé à coopérer - et à parler davantage - afin d'exploiter leur environnement et de manger différents aliments \", estime le professeur Tallerman. Nos ancêtres ont commencé à ramasser et à border les carcasses d'animaux laissés par les grands prédateurs. \"Mais si vous voulez vous régaler des restes d'une carcasse sur laquelle une meute d'hyènes a d'abord des droits, alors vous feriez mieux d'avoir une bande de copains avec vous, parce que ça va être très dangereux,\" dit le professeur Tallerman. Le langage est aussi utile \"si un jour vous êtes sur le terrain, trouvez une bonne carcasse et que vous devez informer les autres membres du groupe qu'il y a quelque chose de comestible à proximité\". C'est une autre caractéristique de la communication humaine, appelée déplacement ou pensée hors ligne : lorsque vous utilisez le langage pour parler aux autres de choses qui ne sont pas immédiatement présentes, parce que cela aurait pu se produire dans un autre lieu - ou même dans le temps. L'envie de manger et de survivre a peut-être stimulé les humains à développer leur capacité à se parler de \"quelque chose qu'ils ne peuvent pas voir, mais qui est là\", comme la présence de nourriture gratuite, en déduit le professeur Tallerman. Lire aussi: L'art de l'argumentation Et les ragots ont peut-être joué leur rôle aussi Savoir se faire des alliés est aussi un élément important de l'évolution. Par conséquent, l'amélioration de notre capacité à travailler ensemble était essentielle au développement du langage, mais nos besoins de communication n'étaient pas nécessairement sophistiqués. \"La coopération est au cœur de tout cela - et probablement que la plus grande partie de la véritable coopération sociale concerne la préparation sociale \", dit le professeur Foley, \" une grande partie de ce que nous disons n'est en réalité que la conclusion d'alliances et la découverte de ce qui se passe \". Il ne faut pas sous-estimer la valeur des discussions informelles : \"Le bavardage et les ragots sont en grande partie le pain et le beurre de la parole au quotidien \", déclare la linguiste historique Laura Wright, de l'Université de Cambridge. Parfois, plus que de faire des choses, le but principal de la langue semble être simplement de découvrir des choses. Quand avons-nous commencé à raconter des histoires ? Something apparently as simple as telling a story is a feat of evolution \"Nous avions besoin de beaucoup de langage pour pouvoir construire des récits, raconter des histoires et créer des rituels \", dit le professeur Tallerman. Il se peut donc que cela ait fait beaucoup de chemin - probablement des centaines de milliers d'années après que les premières mesures aient été prises pour parler. Le passage d'une proto-langue à une langue moderne est un saut important et laborieux, mais \"toutes les langues parlées aujourd'hui sont également complexes\", déclare le professeur Foley. \"Nous savons que les populations qui parlent toutes ces différentes langues divergent souvent en tant que populations il y a au moins 100 000 ans ou plus. Au moins, il doit déjà y avoir eu ce niveau de complexité.\" Cette pièce a été adaptée de l'émission Word of Mouth de la BBC Radio 4."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47514263", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47540332", "doc1": "মানসা মুসার মক্কা ভ্রমণে তাঁর সাথে ছিলেন ১২০০০ দাস-দাসী এবং আরো ৬০,০০০ মানুষের এক বিশাল বহর। তবে সর্বকালের সেরা ধনীর সম্পদের কাছাকাছিও তিনি নেই। সেই খেতাবের মালিক মানসা মুসা, ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এই মুসলিম শাসক এতটাই ধনী ছিলেন যে তার দানশীলতার কারণে একটি পুরো দেশের অর্থনীতিতে পর্যন্ত ধস নেমেছিল। \"মুসার সম্পদের যে শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে আসলে তিনি যে কতটা সম্পদশালী এবং ক্ষমতাশালী ছিলেন তা ধারণা করাও কঠিন,\"- বিবিসিকে বলেন রুডলফ বুচ ওয়ার, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। \"কারো পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব তার চেয়েও ধনী ছিলেন মানসা মুসা,\"- ২০১৫ সালে মানি ডট কমের জন্য লেখেন জ্যাকব ডেভিডসন। ২০১২ সালে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটি নেট ওর্থ তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার বলে একটি ধারণা দেয়। তবে অর্থনীতির ইতিহাসবিদরা একমত যে সংখ্যা দিয়ে তাঁর সম্পদের কোন সঠিক ধারণা দেয়া একরকম অসম্ভব। সর্বকালের সেরা ১০ ধনী •মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭, মালি সাম্রাজ্যের রাজা) সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা সম্ভব নয়। •অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিস্টপূর্ব- ১৪ খ্রিস্টাব্দ, রোমান সম্রাট)৪.৬ লাখ কোটি ডলার। •ঝাও সু (১০৪৮-১০৮৫, চীনের সং সাম্রাজ্যের সম্রাট শেনজং) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •আকবর (১৫৪২-১৬০৫, ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের সম্রাট) সম্পদ অপরিমা���যোগ্য। •এন্ড্রু কার্নেগি (১৮৩৫-১৯১৯, স্কটিশ-মার্কিন শিল্পপতি) ৩৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। •জন ডি রকাফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭, মার্কিন ব্যবসায়ী) ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। •নিকোলাই আলেক্সান্দ্রোভিচ রোমানভ (১৮৬৮-১৯১৮, রাশিয়ার জার) ৩০ হাজার কোটি ডলার। •মীর ওসমান আলী খান (১৮৮৬-১৯৬৭, ভারতীয় রাজপরিবারের সদস্য) ২৩ হাজার কোটি ডলার। •উইলিয়াম দ্য কনকারার (১০২৮-১০৮৭, ইংল্যান্ডের রাজা) ২২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। •মুয়াম্মার গাদ্দাফি (১৯৪২-২০১১, লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক) ২০ হাজার কোটি ডলার। সূত্র: মানি ডট কম স্বর্ণের রাজা ১২৮০ সালে একটি শাসক পরিবারেই জন্ম মানসা মুসার। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে মালি সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তাঁর ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। চতুর্দশ শতকের সিরীয় ইতিহাসবিদ শিহাব আল-উমারির বর্ণনা অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগর এবং তার ওপারে কী আছে তা নিয়ে মারাত্মক কৌতুহলী ছিলেন আবু-বকর। বলা হয় ২ হাজার জাহাজ এবং হাজার-হাজার পুরুষ, নারী এবং দাস-দাসী নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমান তিনি, এবং এরপর আর কখনো ফিরে আসেননি। প্রয়াত মার্কিন ইতিহাসবিদ আইভান ভ্যান সারটিমার মতো অনেকেই মনে করেন আবু-বকর শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছুতে পেরেছিলেন। যদিও এর কোন প্রমাণ নেই। যাইহোক, উত্তরাধিকার সূত্রে ভাইয়ের ফেলে যাওয়া রাজত্বের শাসনভার নেন মানসা মুসা। তাঁর শাসনামলে মালি রাজত্বের আকার বাড়তে থাকে। তিনি তার রাজত্বে আরো ২৪ টি শহর যুক্ত করেন, যার একটি ছিল টিম্বাকটু। তাঁর রাজত্ব বিস্তৃত ছিল ২,০০০ মাইলজুড়ে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নিজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভোরি কোস্টের বড় অংশ ছিল তার রাজত্বে। কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রে এভাবেই মানসা মুসার ছবি আঁকা হয়। এই বিশাল সাম্রাজ্যের সাথে তাঁর আয়ত্ত্বে আসে মূল্যবান খনিজ সম্পদ- বিশেষ করে স্বর্ণ এবং লবণ। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের হিসেবে মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুত ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর তার সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। \"শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান যোগান ছিল মানসা মুসার,\"- বিবিসিকে বলেন ক্যাথলিন বিকফোর্ড বারজক, নর্���ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। \"বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো তার সাম্রাজ্যে স্বর্ণ এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করতো, সেই বাণিজ্য থেকে আরো সম্পদশালী হয়ে ওঠেন মানসা মুসা\"। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সবচেয়ে ধুমধামের বিয়ে ঘিরে যত হৈচৈ আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার কার আয়ু বেশি: ধনী না গরিবের? বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী মক্কার উদ্দেশ্যে মানসা মুসা মালি সাম্রাজ্যে স্বর্ণের বিশাল মজুত থাকলেও, এই রাজত্ব বহির্বিশ্বে অতটা পরিচিত ছিল না। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা যখন সাহারা মরু এবং মিশর পার হয়ে মক্কায় হ্জ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনি সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানসা মুসার মক্কা যাত্রা তাকে এবং মালিকে মানচিত্রে স্থান করে দেয় - ১৩৭৫ সালের কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রের বলা হয় ৬০,০০০ মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রী পরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২,০০০ দাস-দাসী। একইসাথে খাবারের জন্য ছিলো ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। মরুর বুক দিয়ে যেন একটি শহর চলছিল। যে শহরের এমনকি একজন দাসের গায়েও স্বর্ণখচিত পারস্যের সিল্কের জামা। শহরের সাথে চলছিল শত-শত উটের আরেকটি বহর, যার প্রতিটির পিঠে শত-শত সের খাঁটি স্বর্ণ। দেখার মত দৃশ্য ছিল সেটি। সেই দেখার মত মানুষ পাওয়া গেল যখন পুরো ক্যারাভানটি কায়রোতে পৌঁছুল। কায়রোর স্বর্ণধস কায়রোতে মানসা মুসার ভ্রমণ সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে তাঁর ভ্রমণের ১২ বছর পর যখন আল-উমারি শহরটিতে যান, তখনো মানুষের মুখে মুখে ছিল মানসা মুসার স্তুতিবাক্য। কায়রোতে তিন মাস অবস্থানের সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ঐ পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্টঅ্যাসেট ডট কমের এক হিসেবে, মানসা মুসার মক্কা যাত্রার ফলে স্বর্ণের যে অবমূল্যায়ন হয় তাতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তৎকালীন সময়ে ১৫০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল। ফেরার পথে আবারো মিশর পার হন মানসা মুসা। অনেকের মতে যেসময় দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন তিনি�� চড়া সুদে তিনি বেশকিছু স্বর্ণ ধার করে সেগুলো তিনি বাজার থেকে তুলে নেন। আবার অনেকে বলেন, তিনি এত বেশি খরচ করেন যে তাঁর স্বর্ণ শেষ হয়ে যায়। লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান এবং ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের লুসি ডুরান বলেন, মালির চারণকবি, যারা কিনা গানের সুরে ইতিহাস বর্ণনা করতেন, তারা মানসা মুসার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। \"তিনি মালির এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে তারা (চারণকবিরা) তাদের গানে মানসা মুসার প্রশংসা করেন না। কারণ তারা মনে করেন, তিনি দেশটির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন\"। হৃদয়ে ছিল শিক্ষা মানসা মুসা তার তীর্থযাত্রায় যে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ খরচ অথবা নষ্ট করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার এই অতি দানশীলতাই তাকে বিশ্বের নজরে এনে দেয়। মানসা মুসা আক্ষরিক অর্থেই মালি এবং নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে দেন। ১৩৭৫ সালের একটি কাতালান মানচিত্রে টিম্বাকটুর ওপরে একজন আফ্রিকান রাজাকে স্বর্ণের টুকরো হাতে বসে থাকার ছবি দেখা যায়। তিনিই মানসা মুসা। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন টিম্বাকটু দেখতে আসা শুরু করেন। উনিশ শতকেও টিম্বাকটু ছিল কিংবদন্তীর হারিয়ে যাওয়া এক স্বর্ণের শহর। ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপ থেকেও পরিব্রাজকেরা খোঁজ করতেন এই টিম্বাকটুর। আর এর পেছনে মূল কারণটিই ছিল ৫০০ বছর আগে মানসা মুসার সেই শাসনামল। মক্কা থেকে বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদকে সাথে নিয়ে আসেন মানসা মুসা। যাদের মধ্যে ছিলেন নবী মোহাম্মদের সরাসরি বংশধর এবং একজন আন্দালুসিয়ান কবি ও স্থপতি আবু এস হক এস সাহেলি, যাকে কিনা বিখ্যাত জিংগারেবার মসজিদের নকশাকার হিসেবে ধারণা করা হয়। মানসা মুসা সেই কবিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮২ লক্ষ মার্কিন ডলার। শিল্প এবং স্থাপনায় উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেন, স্কুল, লাইব্রেরি এবং মসজিদ তৈরিতে অর্থ দান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই টিম্বাকটু হয়ে ওঠে শিক্ষার কেন্দ্র এবং সারাবিশ্ব থেকে মানুষজন সেখানে পড়তে আসা শুরু করে, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় সাংকোর বিশ্ববিদ্যালয় নামে। ধনী সেই রাজাকে পশ্চিম আফ্রিকায় শিক্ষার প্রসারের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও সেই সাম্রাজ্যের বাইরে তার সেই গল্প খুব কম মানুষই জানতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় ���িশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, \"ইতিহাস লেখে বিজয়ীরা\"। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মানসা মুসার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। ১৩২৭ সালে জিংগারেবার মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন মানসা মুসা। পরবর্তীতে ইউরোপিয়দের আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন ছিল প্রতাপশালী সম্রাট মানসা মুসার কফিনের শেষ পেরেক। \"মধ্যযুগের ইতিহাসকে এখনো অনেকটা পশ্চিমা ইতিহাস হিসেবেই দেখা হয়,\"- মানসা মুসার কাহিনী কেন এতটা প্রচারিত নয় তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন ব্লক মিউজিয়ামের পরিচালক লিসা করিন গ্রাজিও। \"কয়েক'শ বছর পরে না এসে, মানসা মুসার সময়ে মালি যখন সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিতে সবার শীর্ষে ছিল, তখন যদি ইউরোপিয়রা আফ্রিকায় আসতো- তাহলে হয়তো পুরো বিষয়টা অন্যরকম হতো,\" বলেন মিস্টার ওয়ার।", "doc2": "Mansa Musa, roi de l'empire du Mali du 14ème siècle, est l'homme le plus riche de tous les temps. Mais il n'est pas du tout l'homme le plus riche de tous les temps. Ce titre revient à Mansa Musa, un roi de l'empire du Mali du 14ème siècle, qui était si riche que ses dons généreux ont détruit l'économie d'un pays entier. Lire aussi : Kylie Jenner devient la plus jeune milliardaire du monde Dangoté milliardaire et philanthrope \"Les récits contemporains sur la richesse de Musa sont tellement époustouflants qu'il est presque impossible de se rendre compte à quel point il était riche et puissant\", a déclaré à la BBC Rudolph Butch Ware, professeur associé d'histoire à l'Université de Californie. Mansa Musa était \"plus riche que quiconque\", a écrit Jacob Davidson à propos du roi africain, sur le site Money.com en 2015. En 2012, le site américain Celebrity Net Worth a estimé sa fortune à 400 milliards de dollars (233 000 milliards de FCFA), mais les historiens de l'économie s'accordent à dire que sa fortune est impossible à chiffrer. Les 10 hommes les plus riches de tous les temps Source : Money.com, Celebrity Net Worth Le \"roi\"de l'or Mansa Musa est née en 1280 dans une famille de souverains. Son frère, Mansa Abu-Bakr (Bakary II), dirigea l'empire jusqu'en 1312, date à laquelle il abdiqua pour partir en expédition. Selon l'historien syrien du XIVe siècle Shibab al-Umari, Abou-Bakr était obsédé par l'océan Atlantique et ce qui l'entourait. Il se serait embarqué dans une expédition avec une flotte de 2 000 navires et des milliers d'hommes, de femmes et d'esclaves. Ils sont partis pour ne jamais revenir. Certains, comme le défunt historien américain Ivan Van Sertima, pensent qu'ils ont atteint l'Amérique du Sud. Mais il n'y a aucune preuve de cela. En tout cas, Mansa Musa a hérité du royaume qu'il a laissé derrière lui. Mansa Musa s'est rendu à La Mecque avec une caravane de 60 000 hommes et 12 000 esclaves. Sous son règne, le royaume du Mali s'est considérablement développé. Il a annexé 24 villes, dont Tombouctou. Le royaume s'étendait sur environ 3 000 kilomètres, de l'océan Atlantique jusqu'au Niger actuel en passant par le Sénégal, la Mauritanie, le Mali, le Burkina Faso, le Niger, la Gambie, la Guinée-Bissau, la Guinée et la Côte d'Ivoire. En plus de cette grande étendue terrestre, il disposait de grandes ressources comme l'or et le sel. Sous le règne de Mansa Musa, l'empire du Mali représentait près de la moitié des réserves d'or de l'Ancien Monde, selon le British Museum. Et tout cet or appartenait au roi. Lire aussi : Première femme noire professeure d'histoire au Royaume-Uni \"Je ne veux pas être la seule noire professeure d'histoire du Royaume-Uni\" \"En tant que roi, Mansa Musa avait un accès presque illimité à la source de richesses la plus précieuse du monde médiéval\", a expliqué à la BBC Kathleen Bickford Berzock, spécialiste de l'art africain au Block Museum of Art de la Northwestern University. \"De grands centres d'affaires, qui faisaient le commerce de l'or et d'autres marchandises, se trouvaient également sur son territoire. Et il en tirait des richesses\", a-t-elle ajouté. Le voyage à La Mecque Même si l'empire du Mali avait de telles quantités d'or, le royaume lui-même n'était pas bien connu. Cela a changé lorsque Mansa Musa, musulman pieux, a décidé d'aller en pèlerinage à La Mecque, en passant par le désert du Sahara et l'Égypte. Le voyage à La Mecque a contribué à faire connaître le Mali et Mansa Musa - une photocopie de la carte de l'Atlas catalan de 1375. Le roi aurait quitté le Mali avec une caravane de 60 000 hommes. Il prit toute sa cour royale et ses fonctionnaires, des soldats, des griots, des marchands, des chameliers et 12 000 esclaves, ainsi que des chèvres et des moutons, pour se nourrir. C'était comme si toute une ville traversait le désert. Une ville dont les habitants, jusqu'aux esclaves, étaient vêtus de brocarts d'or et de la soie persane la plus fine. Une centaine de chameaux étaient en remorque, chaque chameau transportant des centaines de livres d'or pur. Un vrai spectacle. Et c'est lorsque la caravane atteignit Le Caire qu'ils purent vraiment montrer leurs richesses et leur opulence. Le crash de l'or du Caire Mansa Musa a laissé au Caire un souvenir si mémorable qu'al-Umari, qui a visité la ville 12 ans après le roi malien, a raconté à quel point les habitants du Caire parlaient de lui. Il a si généreusement distribué de l'or au Caire que son séjour de trois mois a fait chuter le prix de l'or dans la région pendant 10 ans, ruinant l'économie. La société américaine SmartAsset.com estime qu'en raison de la dépréciation de l'or, le pèlerinage de Mansa Musa a entraîné des pertes économiques d'environ 1,5 milliard de dollars US (près de 900 milliards de FCFA) à travers le Moyen-Orient. Lire aussi : Le Royaume-Uni rend les cheveux d'un empereur éthiopien La France va restituer des œuvres d'art au Bénin Sur le chemin du retour, Mansa Musa est repassé par l'Égypte et, selon certains, il a tenté d'aider l'économie du pays en retirant une partie de l'or de la circulation en l'empruntant à des taux d'intérêt exorbitants auprès des prêteurs égyptiens. D'autres disent qu'il avait tellement dépensé qu'il n'avait plus d'or. Lucy Duran, de la School of African and Oriental Studies de Londres, note que les griots maliens, les conteurs historiens, en particulier, lui en voulaient. \"Il a donné tellement d'or malien en cours de route que les [griots] n'aiment pas le louer dans leurs chansons parce qu'ils pensent qu'il a gaspillé les ressources locales en dehors de l'empire\", dit-elle. Un chantre de l'éducation Il ne fait aucun doute que Mansa Musa a dépensé ou gaspillé beaucoup d'or pendant son pèlerinage. Mais cette générosité excessive a aussi attiré l'attention du monde entier. Mansa Musa avait littéralement mis le Mali et lui-même sur la carte du monde. Sur une carte de l'Atlas catalan de 1375, le dessin d'un roi d'Afrique est assis sur un trône d'or au sommet de Tombouctou, tenant un morceau d'or dans sa main. Tombouctou est devenu un eldorado africain, et les gens venaient de près ou de loin pour y jeter un coup d'œil. Au XIXe siècle, la ville avait encore un statut mythique de cité perdue de l'or au bout du monde, un lieu phare pour les chasseurs de trésors et les explorateurs européens. Et cela, en grande partie, grâce aux exploits du Mansa Musa, 500 ans auparavant. Mansa Musa a commandé la célèbre mosquée Djinguereber en 1327. Mansa Musa est revenu de La Mecque avec plusieurs savants musulmans, dont des descendants directs du prophète Mahomed et un poète et architecte andalou du nom d'Abu Es Haq es Saheli, qui est largement reconnu pour avoir conçu la célèbre mosquée Djinguereber. Le roi aurait payé au poète 200 kg d'or, soit 8,2 millions de dollars (4,7 milliards de FCFA) en monnaie actuelle. En plus d'encourager les arts et l'architecture, il a également financé la littérature et construit des écoles, des bibliothèques et des mosquées. Tombouctou est rapidement devenu un centre d'éducation et des gens sont venus du monde entier pour étudier à la future Université Sankore. Le richissime roi est souvent crédité d'avoir commencé la tradition de l'éducation en Afrique de l'Ouest, bien que l'histoire de son empire reste largement méconnue en dehors de la région. Lire aussi : Omar Victor Diop revisite l'histoire du peuple noir Les soldats musulmans oubliés de la Première Guerre Mondiale Après la mort de Mansa Musa en 1337, à l'âge de 57 ans, ses fils ont hérité de l'empire, mais il n'ont pas pu maintenir son unité. L'empire s'est fractionné en petits États et a fini par s'effondrer. L'arrivée tardive des Européens dans la région a précipité la chute définitive de l'empire. \"L'histoire de l'époque médiévale est encore largement considérée comme une histoire occidentale\", explique Lisa Corrin Graziose, directrice du Block Museum of Art, expliquant pourquoi l'histoire de Mansa Musa n'est pas largement connue. \"Si les Européens étaient arrivés en grand nombre à l'époque de Musa, avec le Mali au sommet de sa puissance militaire et économique, au lieu de quelques centaines d'années plus tard, les choses auraient presque certainement été différentes\", explique Rudolph Butch Ware, de l'Université de Californie. A regarder : Homo sapiens: la découverture qui impose une révision des manuels d'histoire"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50963058", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50984618", "doc1": "টিবল্ট এখন হাত-পা নাড়াতে পারেন প্যারালাইসিস সারানোর উপায় ৩০ বছর বয়সী টিবল্ট বলছিলেন, 'মনে হচ্ছিলো, এটি যেন চাঁদে প্রথম মানুষ হাঁটার মতন মূহুর্ত'। দুই বছর আগে এক দুর্ঘটনায় প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাবার পর তিনি যখন প্রথম তার হাত-পা নাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন তখন তার কেমন লাগছিলো সে কথাই বলছিলেন তিনি। রোবো-স্যুট পড়ে ল্যাব বা পরীক্ষাগারের ভেতরে তার নড়াচড়া, বিশেষ করে হাঁটা, এখনো ঠিক স্বাভাবিকতার পর্যায় পড়ে না। কিন্তু গবেষকরা আশাবাদী যে, একদিন এই স্যুট বা পদ্ধতি হয়তো রোগীদের জীবনমান পাল্টাতে পারবে। তবে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ যেন তাদের হাত ও বাহু নাড়া-পাড়া করতে পারে সে জন্য, ইতোমধ্যেই, তাদের শরীরের নার্ভ বা স্নায়ুগুলোকে 'রিওয়্যার' করা হয়েছে বা পুন:সংযোগ দেয়া হয়েছে। মিলার অনিরাময়যোগ্য রোগ সারাতে নতুন ওষুধ বানানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অনেক রোগী এখন নিজে নিজেই খেতে পারছে, মেক-আপ করতে পারছে, তালায় চাবি ঘুরিয়ে খুলতে পারছে, টাকা গুণা-গুণতি করতে পারছে এবং কম্পিউটারে টাইপও করতে পারছে। একজন রোগীর জন্য বানানো অতুলনীয় ওষুধ মিলা মেকাভিচের চিকিৎসক রীতিমতো অসাধ্য সাধন করেছেন। মস্তিষ্কের এক গুরুতর রোগে আক্রান্ত এক মেয়ে শিশুর জন্য সেই চিকিৎসক এমন একটি ওষুধ বানিয়েছেন যেটি শুধু তার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং এর জন্য তিনি সময় নিয়েছেন এক বছরেরও কম। মস্তিষ্কের দুরারোগ্য রোগ 'ব্যাটন ডিজিস'-এ আক্রান্ত হয় ৮ বছর বয়সী মিলা। বোস্টনে মিলার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার ডিএনএ'র পুরো জিনোম সিকোয়েন্স করে তার জেনেটিক কোড বের করে এবং কোন জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তার এই রোগ হলো সেটিও তারা বের করে ফেলতে সক্ষম হন। তার জেনেটিক মিউটেশনের ত্রুটি খুঁজে বের করতে সফল হবার পর চিকিৎসকরা মিলাকে সুস্থ করার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠে। এরপর তারা একটি বিশেষ ওষুধ তৈরি করে এবং মিলার উপরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে। পাশাপাশি, পরীক্ষাগারে কিছু প্রাণীর দেহেও ওষুধটি ব্যাবহার করা হয়। পরে ওষুধটি ব্���াবহারের জন্য মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমতিও পায়। সাধারণত কোনো একটি ওষুধ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে-পৌঁছাতে সময় লাগে অন্তত দশ-পনেরো বছর। কিন্তু মার্কিন চিকিৎসকদের দলটি মিলার জন্য এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই ওষুধ তৈরিতে সক্ষম হয়। মিলা যদিও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি কিন্তু এখন আগের চেয়ে বহু-গুণ ভালো রয়েছে। সু বারেলের শরীরে এখন আর তীব্র ব্যথা নেই জিন-সাইলেন্সিং ওষুধ নতুন ধরণের একটি ওষুধ—যেটিকে ডাকা হচ্ছে জিন-সাইলেন্সিং - নিরাময় অযোগ্য অসুখের চিকিৎসা করতে সমর্থ হয়েছে। জিন হচ্ছে শরীরের ডিএনএ-এর অংশ। জিনের মধ্যেই থাকে প্রোটিন যেমন হরমোন, এনজাইমের মতন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় রসদের ব্লুপ্রিন্ট বা নীলনকশা। আমাদের আমাদের ডিএনএ সেলের নিউক্লিয়াসের ভেতরে বন্দী এবং সেলের প্রোটিন উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। যেজন্য আমাদের মানবদেহ 'শর্ট স্ট্র্যান্ড' বা ক্ষুদ্রাকৃতির 'জেনেটিক কোড' বা বংশানুক্রম তথ্যাদি ব্যাবহার করে। বার্তাবাহক এই জেনেটিক কোডের নাম 'আরএনএ'। কিন্তু নতুন এই জিন-সাইলেন্সিং ওষুধটি বার্তাবাহক আরএনএকে বিনাশ করে দেয়। এই ওষুধের বদৌলতেই, পরফিরিয়ায় আক্রান্ত সু বারেল এখন তার তীব্র ব্যথার আক্রমণ থেকে মুক্ত। এছাড়া ভিনসেন্ট ও নীল নিকোলাসও এমিলোইডোসিস রোগের চিকিৎসা হিসেবে এখন এই জিন-সাইলেন্সিং ওষুধ সেবন করছেন। ভিনসেন্ট আর নেইল জিন সাইলেন্সিং চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগ সারাতে ভাইরাস বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের একটা সমন্বয় বা ককটেলের বদৌলতেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ইসাবেল কার্নেল হোল্ডাওয়ে। গুরুতর এক ব্যাকটেরিয়ার কারণে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয় এই কিশোরী। তখন তার বাঁচার আশা ছিল এক শতাংশেরও কম। তার চামড়ায় পুঁজে ভরা কালো রঙের বড়-বড় ক্ষত দেখা দিচ্ছিলো এবং সেগুলো থেকে তার শরীরে ইনফেকশন বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছিলো। তার লিভার অকার্যকর হয়ে পড়ছিল এবং তার শরীরের ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জাঁকিয়ে বসে 'কলোনি' বা আবাস গেড়েছিল। তখন তার শরীরের ব্যাকটেরিয়াদের বিনাশ করতে গ্রেট ওরমোন্ড স্ট্রিট হসপিটালের ডাক্তাররা 'ফেজ থেরাপি' বলে একধরনের ভাইরাস ব্যাবহার করে। 'ফেজ থেরাপি' তখনো ছিল অপরীক্ষিত। 'ফেজ থেরাপি' কখনোই মূলধারার চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়া, এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর 'ফেজ থেরাপি' যেন অনেকটা পিছনে পরে থাকা বিষয়। কিন্তু 'সুপারবাগ'—যেটি কিনা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী শক্তিশালী জীবাণু— দেখা দেয়ার পর থেকে এখন আবার ফেজ-থেরাপি নিয়ে মনোযোগ বাড়ছে। ইসাবেলের ঘটনাটিও তেমনি একটি ঘটনা। শার্লট স্টিভেনসন নতুন পথে ক্যান্সার ওষুধ বেলফাস্টের দুই বছর বয়সী কন্যা শিশু শার্লট স্টিভেনসন। ক্যান্সারের নতুন আবিষ্কৃত বৈপ্লবিক ওষুধ ব্যবহার করে সে উপকৃত হয়েছে। লেরোটেকটিনিব নামের ওষুধটি এখন ইউরোপ জুড়ে ব্যাবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ওষুধটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যেটি জেনেটিক অস্বাভাবিকতা আছে এমন টিউমারগুলোকে লক্ষ্য করে। শার্লটের শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন সারকোমা বা সংযোজক কোষ, মস্তিষ্ক, কিডনি, থাইরয়েডসহ এবং অন্যান্য ক্যান্সার পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ক্যান্সারের ইমিউনোথেরাপি ইতোমধ্যেই অন্যান্য সাফল্য অর্জন করেছে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে রোগীর ইমিউন সিস্টেম বা নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়। ত্বকের ক্যান্সার বা মেলানোমায় আক্রান্ত অর্ধেক রোগীই এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। অথচ মাত্র এক দশক আগেও তা ছিল দুরারোগ্য ব্যাধি। বছর দশেক আগেও বাস্তবতাটা ছিল এমন যে, মেলানোমা বা ত্বকের ক্যান্সার ধরার পড়ার পর ৫ বছর হবার আগেই বেশির ভাগ রোগী মারা যেতো। এমনকি কয়েক মাসের মধ্যেই বহু মানুষ মারা যেতো। আর মেলানোমা ধরা পড়ার পর ৫ বছর বেঁচে থাকার সংখ্যাটি ছিল প্রতি ২০জনে মোটে একজন। ডিএনএতে পরিবর্তন এনে রোগ সারানোর চেষ্টা ডিমেনশিয়া ঠেকাতে নতুন ওষুধ আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রমের মতন রোগের তীব্রতাকে কমিয়ে দিতে পারে এমন ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন একটি ওষুধ-প্রস্তুতকারী কোম্পানি। 'এডুকেনাম্ব' নামের এই ওষুধটি মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে জমা বিষাক্ত প্রোটিন দূর করতে পারে। গত অক্টোবরে এই ওষুধের ঘোষণাটি দেয়া হলে সেটি বিস্ময় তৈরি করেছিল। বায়োজিন কোম্পানির দেয়া লিখিত সেই ঘোষণায় বলা হয় যারা নিয়মিত সর্বোচ্চ মাত্রায় এই ওষুধ সেবন করছে তারা স্মৃতি ও শব্দ মনে রাখাসহ দৈনন্দিন কাজ যেমন বাজার-সদাই করা, কাপড়-চোপড় ধোওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও ভালোভাবে করতে পারছে। এই ওষুধটিকে এখনো বাজারে ব্যাবহার���র অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি ওষুধটি অনুমোদন পায় তাহলে আধুনিক ওষুধের ইতিহাসে সেটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড পড়ার ব্যবস্থা উদ্ভাবিত হয়েছে নতুন ধরনের ডিমেনশিয়া ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞরা নতুন আরেক প্রকারের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি ভুলে যাওয়া রোগের সন্ধান দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে হয়তো রোগটিকে ভুলভাবে নিরূপণ করা হচ্ছিলো। ডিমেনশিয়া হচ্ছে মস্তিষ্কের অনেক রোগের উপসর্গ এবং স্মৃতি ভুলে যাওয়াটাই এর প্রধান লক্ষণ। আলঝাইমার হলো ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে 'কমন' বা পরিচিত ধরণ। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের ডিমেনশিয়া রয়েছে যেমন ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া, ডিমেনশিয়া উইথ লিউই বডিস, ফ্রন্ট টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া, পার্কিন্সন ডিজিস ডিমেনশিয়া ইত্যাদি। এই তালিকায় এখন নতুন যুক্ত হলো নাম 'লিম্বিক-প্রিডোমিনেন্ট এজ রিলেটেড টিডিপি-৪৩ এনসিফেলোপেথি' বা সহজভাবে বললে 'লেট'। আরো পড়ুন: ২০১৯ সালের ব্যতিক্রমী কিছু খবর কেন এত আতঙ্কিত উত্তর প্রদেশের মুসলিমরা উৎসবে নারীর নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত হলো? যুক্ত যমজদের আলাদা করা মাথায় জোড়া লাগানো ছিল দুই যমজ শিশু সাফা ও মারোয়া। তারা কখনোই পরস্পরের মুখ দেখতে পারেনি। এইরকম মাথা জোড়া লাগানো শিশু কত জন্ম নেয় তার কোনো অফিশিয়াল তথ্য না থাকলেও জানা যায়, আনুমানিক প্রতি আড়াই মিলিয়ন শিশু জন্ম নিলে হয়তো একটি ঘটনা এমন হতে পারে। অবশ্য, এসব ক্ষেত্রে জোড়া লাগানো শিশুরা একদিনের বেশি বাঁচে না। সাফা ও মারোয়াকে আলাদা করতে মাসের পর মাস ধরে কাজ করেছে হাসপাতালের শতাধিক মানুষ এবং করতে হয়েছে অনেকগুলো অপারেশন। মৃত্যুর পরেও জীবিত শূকরের মস্তিষ্ক ২০১৯ সালে যেন অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে জীবন আর মৃত্যুর বিভেদ রেখা। একটি শূকরকে জবাই করার প্রায় ঘণ্টা চারেক পর তার মস্তিষ্কের একটি অংশকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হয়েছে। গবেষণা বলছে, মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু প্রক্রিয়া আটকে দিয়ে মস্তিষ্কের কিছু অংশের যোগাযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল। অসুখ ঠেকাতে ইসাবেল কার্নেল ভাইরাস ব্যবহার করে চিকিৎসা নেন শিরশ্ছেদ করা মস্তিষ্কে কৃত্রিম রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এই পুনরুজ্জীবন ঘটানো হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হবার মিনিট কয়েকের মধ্যেই মস্তিষ্কের অবনমন শুরু বলে যে কথাটি বিশ্বাস করা হতো, নতুন এই বিস্ময়কর আবিষ্কার সেই কথাটিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মস্তিষ্কের চিকিৎসায় নতুন পথ খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডিএনএ-কে সম্পাদনা করার নয়া প্রযুক্তি ডিএনএতে থাকা যে কোডের কারণে নানান রোগ-বালাই হয় সেগুলো ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত সারানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই প্রযুক্তির নাম 'প্রাইম এডিটিং'। প্রাইম এডিটিং-কে 'জেনেটিক ওয়ার্ড প্রসেসর' বলে অভিহিত করা হচ্ছে। প্রায় ৭৫ হাজার ভিন্ন-ভিন্ন মিউটেশন রয়েছে যেগুলো মানুষের দেহে রোগের কারণ হয়। গবেষকরা বলছেন, প্রাইম এডিটিং দিয়ে সম্পাদনার মাধ্যমে দশটার মধ্যে ৯টাই সারিয়ে তোলা সম্ভব। মানুষের চিন্তাকে কণ্ঠদান বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরণের ব্রেইন ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যেটি মানুষের মনকে পড়তে পারে এবং সেটিকে কথায় রূপান্তর করতে পারে। এই পদ্ধতিতে প্রথমে একটি 'ইলেক্ট্রোড' মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়। এই ইলেক্ট্রোডের কাজ হচ্ছে মানুষের ব্রেন থেকে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল বা বৈদ্যুতিক নির্দেশনা গ্রহণ করে সেটি ঠোঁট, গলা, কণ্ঠনালী ও চোয়াল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া। তারপর শক্তিশালী কম্পিউটারের মাধ্যমে এই মুখ ও গলার মুভমেন্ট বা নড়াচড়া প্রত্যক্ষ করে বিভিন্ন শব্দ উৎপন্ন করবে। এটি হয়তো নির্ভুল নয়। সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি টিম জানিয়েছে এই প্রযুক্তি মানুষকে, বিশেষ করে যারা কোনো রোগের কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছে, আবার কথা বলার সুযোগ ফিরিয়ে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর ভেপিং বা ই-সিগারেট সেবন সংক্রান্ত রোগে ৫০জন মানুষ মারা গেছেন সিগারেট ছাড়তে ই-সিগারেট এবছর ই-সিগারেটকে ব্যাপক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ই-সিগারেট ব্যাবহারের ফলে ফুসফুসের জটিলতা-জনিত কারণে এবছর যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ২,৪০০ জন আর এর মধ্যে মৃত্যু বরন করেছে ৫০জন। এক কিশোর ই-সিগারেট টানতে গিয়ে ফুসফুসে দম আটকে মরার অবস্থা তৈরি হয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা ই-সিগারেটকে প্রকৃত সিগারেট বা তামাকের চেয়ে নিরাপদ বলে বর্ণনা করছেন। পাশাপাশি, ই-সিগারেট খেলে সিগারেট বা ধূমপান সহজে ছাড়া সম্ভব বলেও মনে করা হয়। দি নিউ ইংল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ছাড়ার পন্থা হিসেবে যারা ই-সিগারেট ধরেছিল তাদের ১৮ শতাংশই সফল হয়েছে। কিন্তু যারা প্রথাগতভাবে নানান পন্থা অবলম্বন করে ধূমপান চাড়তে চাইছিলো তাদের মধ্যে এই মাত্রা ছিল ৯.৯ শতাংশ। আরো যেসব চোখ-ধাঁধানো খবর * মায়ের গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের একটি ছবি প্রকাশ করে গবেষকেরা সাড়া জাগিয়েছেন। * হামের কারণে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের উপরে এমনি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যা ইনফেকশন বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে মানুষের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। * ইটিং-ডিজঅর্ডার বা খাবার নিয়ে ঝামেলা বিষয়ে 'এনোরেক্সিয়া' নামে যে অসুখ রয়েছে সেটির বাস একই সঙ্গে শরীরে এবং মনে। ডিএনএ-তে কিছু পরিবর্তনের ফলে এটি হয়। * বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে মানুষের সহ্যশক্তির সীমানা নির্ধারণ করেছেন। তাদের মতে, মানুষের সহ্য-ক্ষমতা ৩০০০-মাইল দৌড়ের সমান, যা টুর ডে ফ্রান্স এবং অন্যান্য অভিজাত ইভেন্টের সমান। * অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কলা, বাদাম ও ছোলার সমন্বয়ে বানানো ডায়েটে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। * মানব-মস্তিষ্কের উপরে করা নতুন এক গবেষণার তথ্য বলছে, সারা জীবন ধরে মানুষের মস্তিষ্কের নতুন সেল তৈরি হতে থাকে। * হার্ট অ্যাটাকের পরে স্টেম সেলের যে ক্ষতি হয় সেগুলোকে সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে 'পাম্পিং প্যাচ' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রোখে। * ম্যালেরিয়া ছড়ায় যে মশা, সেটিকে নিধনে একটি ফাঙ্গাস বা ছত্রাক— যেটি জেনেটিক্যালি মটিফায়েড, সেটি স্পাইডার টক্সিন উৎপন্ন করে— ভূমিকা রাখতে পারে। * এটি হয়তো বিস্ময়কর নাও ঠেকতে পারে, কিন্তু আমরা যে খাবার খাই এর ফলে ১১ মিলিয়ন মানুষ প্রতিবছর দ্রুত-মৃত্যু বরণ করছে। * বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে এমনভাবে ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র অংশ বিভক্ত করে এর দুর্বলতাগুলো আত্মস্থ করেছেন এবং ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। *স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করার মাধ্যমে যে কেউ তার জীবনে ডিমেনশিয়া হবার আশঙ্কা প্রায় তিন ভাগ কমিয়ে ফেলতে পারে।", "doc2": "Thibault était capable de bouger ses bras et ses jambes lorsqu'il était dans l'exosquelette \"C'était comme être le premier homme sur la Lune\", a déclaré Thibault, 30 ans. Il décrivait le moment où il a pu faire ses premiers pas depuis qu'il a été paralysé lors d'une chute il y a deux ans. Lire aussi : Il peut maintenant bouger ses quatre membres paralysés avec un costume d'exosquelette contrôlé par l'esprit. Ses mouvements, en particulier la marche, sont loin d'être parfaits et la combinaison robotisée n'est utilisée qu'en laboratoire. Mais les chercheurs affirment que cette approche pourrait un jour améliorer la qualité de vie des patients. Pendant ce temps, les nerfs à l'intérieur du corps des personnes paralysées ont été \"recâblés\" pour donner du mouvement à leurs bras et à leurs mains. En Australie, les patients peuvent maintenant se nourrir, se maquiller, tourner une clé, manipuler de l'argent et taper sur l'ordinateur. Un médicament unique faite pour une seule fille avec une vitesse sans précédent Mila avait une maladie de Batten incurable jusqu'à ce que les médecins conçoivent un médicament juste pour elle Les médecins de Mila Makovec ont accompli un exploit apparemment impossible - une jeune fille atteinte d'une maladie cérébrale mortelle a reçu un médicament unique, inventé de toutes pièces juste pour elle et tout cela en moins d'un an. Elle a été diagnostiquée avec la maladie mortelle et incurable de Batten. L'équipe médicale de l'enfant de huit ans à Boston a effectué un séquençage du génome entier - un interrogatoire détaillé - sur l'ADN de Mila, son code génétique, et a découvert une mutation unique qui était à l'origine de sa maladie. Lire aussi : Ayant vu la faute, les chercheurs ont pensé qu'il pourrait être possible de la traiter. Ils ont conçu un médicament, l'ont testé sur les cellules de Mila et sur des animaux en laboratoire et ont obtenu l'autorisation de l'utiliser de la \"Food and Drug Administration\" américaine. Les médicaments prennent normalement une décennie et demie pour sortir du laboratoire, passer par les essais cliniques et parvenir aux patients. L'équipe américaine y est arrivée en un an. Mila a maintenant beaucoup moins de crises, bien qu'elle ne soit pas guérie. Les médicaments de dépistage des gènes arrivent Sue Burrell n'a plus de douleurs aiguës Une nouvelle classe de médicaments - appelée \"extinction de gènes\" - a montré sa capacité à faire reculer des maladies auparavant incurables. Un gène est une partie de notre ADN qui contient le schéma directeur pour la fabrication de protéines, telles que les hormones, les enzymes ou les matériaux de construction bruts. Mais notre ADN est enfermé dans le noyau d'une cellule et maintenu à l'écart des usines de fabrication de protéines de la cellule. Togo: Les Zopitaux et Moi, la plateforme qui rapproche les patients des hôpitaux Notre corps utilise donc un court brin de code génétique, appelé ARN messager, pour combler l'écart et transmettre les instructions. Les médicaments de suppression des gènes tuent le messager. Sue Burrell n'a plus de douleurs aiguës causées par sa porphyrie intermittente. Et Vincent et Neil Nicholas prennent tous les deux des médicaments de suppression de gènes pour une maladie appelée amylose. Vincent et Neil Nicholas prennent tous les deux des médicaments de suppression de gènes Les virus à la rescousse Isabelle Carnell Holdaway prend un cocktail de virus pour combattre les bactéries dangereuses dans son corps La vie d'Isabelle Carnell Holdaway a été sauvée par un cocktail expérimental de virus. Le corps de l'adolescente était attaqué par des bactéries mortelles et apparemment incurables et on lui a donné moins de 1 % de chances de survie. Elle présentait de grosses lésions noires et festoyantes qui se formaient sur sa peau, là où l'infection s'installait. Elle s'est retrouvée aux soins intensifs lorsque son foie a commencé à défaillir, avec de grandes colonies de bactéries se formant dans son corps. Lire aussi : Mais les médecins du Great Ormond Street Hospital ont tenté une \"thérapie par phages\" non testée, qui utilise des virus pour infecter et tuer les bactéries. La phagothérapie n'est jamais devenue une médecine conventionnelle et le domaine a été éclipsé par la découverte des antibiotiques, qui sont beaucoup plus faciles à utiliser. Mais aujourd'hui, la phagothérapie connaît une résurgence en raison de l'apparition de super bactéries qui résistent aux antibiotiques. Le cas d'Isabelle pourrait être le premier d'une longue série. Une nouvelle approche du cancer Charlotte Stevenson a été traitée avec un médicament pour diagnostiquer la tumeur Charlotte Stevenson, une enfant de deux ans de Belfast, a été l'une des premières patientes à bénéficier d'une nouvelle classe \"révolutionnaire\" de médicaments contre le cancer. Les médicaments pour le diagnostic des tumeurs ne se soucient pas de l'endroit où le cancer se développe dans l'organisme tant qu'il présente une anomalie génétique spécifique à l'intérieur. Le premier, appelé larotrectinib, a été approuvé pour une utilisation dans toute l'Europe. Il est conçu pour cibler les tumeurs présentant une anomalie génétique connue sous le nom de fusion de gènes NTRK. On les retrouve dans le sarcome de Charlotte ainsi que dans certains cancers du cerveau, des reins, de la thyroïde et autres. Un \"super\" antibiotique contre la résistance bactérienne En attendant... L'immunothérapie du cancer a atteint une étape importante. Ce médicament utilise le système immunitaire du patient pour combattre le cancer et c'est une histoire que nous avons suivie de près. Aujourd'hui, plus de la moitié des patients survivent à un cancer de la peau mortel (mélanome) qui était considéré comme incurable il y a à peine une décennie. Il y a dix ans, seulement un patient sur 20 vivait pendant cinq ans après avoir reçu un diagnostic de mélanome au stade avancé. La plupart mourraient en quelques mois. Ce fut une transformation extraordinaire et rapide dans les soins. Un premier médicament pour ralentir la démence ? Une compagnie pharmaceutique dit avoir développé le premier médicament pour ralentir la maladie d'Alzheimer Une société pharmaceutique américaine affirme avoir développé le premier médicament pour ralentir la maladie d'Alzheimer. Ce médicament, appelé aducanumab, est un anticorps qui élimine les protéines toxiques qui s'accumulent dans le cerveau. L'annonce faite en octobre a été une surprise de taille, car la firme Biogen avait radié le médicament en mars de cette année seulement. Lire aussi : Elle a ensuite examiné les preuves pour montrer que les personnes qui prenaient la dose la plus élevée en tiraient des avantages et conservaient une meilleure mémoire et une meilleure capacité linguistique, et qu'elles étaient plus efficaces dans les tâches quotidiennes comme le nettoyage, les courses et la lessive. Si le médicament est approuvé, ce qui n'est pas garanti, ce serait l'un des moments les plus importants de la médecine moderne. De la blouse blanche à la scène. Le Dr Tumi a laissé ses patients pour se consacrer au Gospel Un nouveau type de démence Entre-temps, les experts pensent avoir découvert une nouvelle forme de démence et des millions de personnes ont peut-être été diagnostiquées à tort. La démence est un symptôme que l'on retrouve dans de nombreuses maladies du cerveau et la perte de mémoire est la caractéristique la plus courante. La maladie d'Alzheimer est la forme de démence la plus courante. Parmi les autres, on compte la démence vasculaire, la démence à corps de Lewy, la démence fronto-temporale, la démence de la maladie de Parkinson, la sclérose latérale amyotrophique. Maintenant, \"l'encéphalopathie TDP-43 liée à l'âge à prédominance limbique\" ou plus simplement \"tardive\" a été ajoutée à la liste. Séparer des jumeaux The battle to separate Safa and Marwa Une de nos histoires les plus suivies de l'année a été la séparation de deux jumeaux siamois. Safa et Marwa sont nées jointes au niveau du crâne et elles n'avaient jamais été capables de voir le visage de l'autre. Il n'y a pas de chiffres officiels sur la fréquence de cette situation, mais on estime que les jumeaux conjoints craniopagus naissent une fois sur 2,5 millions de naissances. La plupart ne vivent pas plus d'un jour. Pour les séparer, il a fallu de multiples opérations chirurgicales, des mois de travail acharné et l'expertise de centaines de travailleurs hospitaliers. Cerveaux de porc partiellement réanimées quatre heures après la mort Les découvertes pourraient mener à de nouveaux traitements pour les lésions cérébrales La ligne entre la vie et la mort est devenue floue en 2019. Des cervelles de porc ont été partiellement réanimées quatre heures après l'abattage des animaux. L'étude a montré que la mort des cellules cérébrales pouvait être arrêtée et que certaines connexions dans le cerveau étaient restaurées. L'exploit a été réalisé en pompant de façon rythmique un sang synthétique autour des cerveaux décapités. Le Kenya développe son système de santé Ces résultats surprenants remettent en question l'idée que le cerveau connaît un déclin irréversible dans les minutes qui suivent l'interruption de l'approvisionnement en sang et pourraient mener à de nouveaux traitements pour les dommages et les troubles cérébraux. Cependant, aucun signal provenant du cerveau n'indiquait une prise de conscience ou un état de conscience. Un nouvel outil pour manipuler l'ADN Le montage principal permet d'apporter des modifications précises à l'ADN Une nouvelle façon d'éditer le code de la vie pourrait corriger 89 % des erreurs dans l'ADN qui causent des maladies. Cette technologie, appelée \"prime editing\", a été décrite comme un \"traitement de texte génétique\" capable de réécrire avec précision le code génétique. C'est un peu comme appuyer sur Ctrl-F pour trouver le bout de texte que vous voulez modifier, puis appuyer sur Ctrl-C et Ctrl-V pour copier le nouveau texte (ou la touche de commande si vous êtes un utilisateur Mac). Il y a environ 75 000 mutations différentes qui peuvent causer des maladies chez les gens et les chercheurs disent que l'édition principale peut corriger près de neuf sur dix d'entre elles. Il a déjà été utilisé pour corriger des mutations nuisibles en laboratoire, y compris celles qui causent la drépanocytose et la maladie de Tay-Sachs (une maladie nerveuse rare et mortelle). Redonner une voix aux gens Les électrodes lisent l'activité électrique dans le cerveau Les scientifiques ont mis au point un implant cérébral qui peut lire dans les pensées des gens et transformer leurs réflexions en paroles. Une électrode est d'abord implantée dans le cerveau pour capter les signaux électriques qui font fonctionner les lèvres, la langue, le larynx et la mâchoire. Ensuite, un puissant ordinateur est utilisé pour simuler comment les mouvements de la bouche et de la gorge formeraient différents sons. Il en résulte une parole synthétisée imparfaite sortant d'un \"conduit vocal virtuel\" si vous écoutez l'enregistrement. Les bienfaits de la gentillesse sur votre santé Vous pouvez dire que ce n'est pas clair comme de l'eau de roche (l'enregistrement dit que \"la preuve que vous cherchez n'est pas disponible dans les livres\"). L'équipe de l'Université de Californie, à San Francisco, affirme que la technologie pourrait aider les gens lorsque la maladie les prive de leur capacité de parler. Les cigarettes électroniques aident les fumeurs à cesser de fumer Il y a eu environ 50 décès liés à la vaporisation et aux e-cigarettes aux États-Unis cette année L'enregistrement a fait l'objet d'un examen approfondi cette année. Plus de 2 400 personnes ont dû être hospitalisées et 50 personnes sont décédées aux États-Unis des suites de \"lésions pulmonaires associées à l'utilisation de cigarettes ou de produits de vaporisation\". Entre-temps, un adolescent a failli mourir après que la vaporisation a provoqué une réaction catastrophique dans ses poumons. Mais les experts ont continué à souligner que les vapeurs sont plus sûres que le tabac et cette année, la preuve a été faite que les vapeurs aident les fumeurs à arrêter de fumer. Un essai, publié dans le New England Journal of Medicine, a révélé que 18% des fumeurs qui les utilisaient pour cesser de fumer demeuraient sans fumée après un an, comparativement à 9,9% de ceux qui utilisaient des substituts nicotiniques traditionnels. D'autres choses qui ont attiré notre attention : Watch how the feotus jumps around the inside the womb in MRI scan footage"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51528823", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51645173", "doc1": "শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এটি সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনে আক্রান্ত হলেও আরো ৩০টি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণা যেটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। \"শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বিরল,\" গবেষকরা বলেন। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? শিশুরা কি এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রতি বেশি প্রতিরোধী? শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কম এনিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে কিন্তু শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে না এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই। \"কারণ আসলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না,\" বিবিসিকে একথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস। এর অর্থ হচ্ছে শিশুরা রোগটিতে খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যার কারণে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আর এ কারণেই তারা চিকিৎসকের কাছে যায় না এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করারও দরকার হয়না। এবিষয়ে সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট। \"পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ ভাবে কাজ করে,\" তিনি বলেন। \"তারা হয়তো আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা বেশ মৃদু বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোন উপসর্গ থাকে না।\" শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের এই নিম্নহার এর আগেও দেখা গেছে। সম্প্রতি ২০০৩ সালে চীনে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ৮০০ মানুষ মারা গেলেও তখনও শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম ছিল। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল(সিডিসি) এর বিশেষজ্ঞরা ১৩৫ জন শিশু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুঁজে পান। কিন্তু তখন \"শিশু ও কিশোরদের মধ্যে একজনও মারা যায়নি\" বলে জানান তারা। নতুন চন্দ্র বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ থাকার কারণেই কি শিশুরা ভাইরাসে তেমন আক্রান্ত হয়নি? নববর্ষের ছুটি কি শিশুদের রক্ষা করেছে? ম্যাকডারমট আরো মনে করেন যে, প্রাপ্তবয়স্করা যেভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে শিশুরা হয়তো সেভাবে ততটা সংস্পর্শে আসেনি। কারণ প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চীনের নতুন বছরের ছুটির সময় যখন স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। চীনের প্রায় সবগুলো প্রদেশেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং অনেক স্কুল পুরো ফেব্রুয়ারি মাস বন্ধ থাকবে। \"প্রাপ্তবয়স্করা বাড়িতে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখে।\" তিনি মনে করেন যে এই চিত্র পাল্টে যেতে পারে কারণ \"রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসের সংস্পর্শে আশার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।\" যাইহোক, কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়লেও সেই হারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা বাড়েনি। এখানেও সার্সের প্রাদুর্ভাবের উদাহরণ টানা যায়: সিডিসির গবেষকরা যারা শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা বলছেন যে, ১২ বছরের কম বয়সীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন কম হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। শিশুদের তুলনায় কি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হয়? যদিও কম সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে, তারা আসলে আক্রান্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আরো সম্ভাব্য বিশ্লেষণটি হলো, এই প্রাদুর্ভাব হয়তো সেই রোগগুলোর মধ্যে একটি যা শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করে, যেমন জলবসন্ত। \"শিশুদের হয়তো কোনভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে-এমন ধারণার তুলনায় এটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি,\" বিবিসিকে একথা বলেন অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান যিনি কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, \"এটা এ কারণেও হতে পারে যে, কর্তৃপক্ষ হয়তো যাদের উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে পরীক্ষাই করছে না।\" হংকংয়ে সার্স প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের স্ট্যাটিস্টিকাল এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ ক্রিসেল ডনেলি। \"আমার সহকর্মীরা যে বিষয়ে একমত হয়েছি তা হলো কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব তেমন আগ্রাসী হয়না- যার কারণে তারা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে না।\" করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাসিন্দা। আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত যেসব প্রাপ্তবয়স্করা আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল- যেমন ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তরা এই প্রাদুর্ভাবের সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকে। \"নিউমোনিয়া(করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি) তাদেরকেই বেশি আক্রান্ত করে যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কারণ তাদের স্বাস্থ্য এমনিতেই খারাপ কিংবা তারা হয়তো তাদের জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছে,\" ইয়ান জোনস বলেন। \"ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্য রোগগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।\" জিনইনতান হাসপাতালে যেসব রোগীদের উপর গবেষণা চালানো হয় তাদের অর্ধেকই আগে থেকেই নিরাময়যোগ্য নয় এমন অন্য কোন রোগে আক্রান্ত ছিল। ভাইরাসের মৃদু সংক্রমণের শিকার শিশুরা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি। কিন্তু শিশুরা কি ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পরিচিত নয়? \"শিশুরা সাধ���রণত নিজেরাই বেশি পরিমাণে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং তা ছড়িয়েও দিয়ে থাকে- আর তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান সংক্রামক বা 'সুপার স্প্রেডার' হিসেবে পরিচিত,\" বলেন ইয়ান জোনস। \"তারা খুব সহজেই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ছড়ায় এবং নার্সারির বাচ্চাদের সাথে যারা থাকেন তারা এটি ভালভাবেই জানেন,\" তিনি বলেন। তাই নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতদের তালিকায় বড় সংখ্যায় শিশুদের থাকার কথা ছিল- কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে যে, ভাইরাসে বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে, অথবা রোগটি হয়তো প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের প্রতি তেমন আগ্রাসী হয় না, আর তাই শিশুরা চিকিৎসা সেবা নেয় না এবং পরীক্ষাও নথিবদ্ধ করা হয়না। তবে চলতি প্রাদুর্ভাব নিয়ে আরো বেশি গবেষণার পর হয়তো এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। আবার এটাও হতে পারে যে, সচেতন বাবা-মা এবং স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা হয়তো সংক্রমণের সংস্পর্শে আসছে না। এক্ষেত্রে চীনে স্কুল খোলার পর যখন শিশুরা স্কুলে যাবে তখন এ বিষয়ে জানা যাবে।", "doc2": "Les cas d'enfants infectés par l'épidémie de coronavirus ont été rares et les experts tentent toujours de découvrir pourquoi Il s'agissait du plus jeune cas enregistré jusqu'à présent dans cette épidémie qui a tué plus de 900 personnes et en a infecté 40 000 (principalement en Chine, mais des cas ont été enregistrés dans plus de 30 pays). Cependant, très peu des personnes infectées sont des enfants. Sur le même sujet L'étude la plus récente de l'épidémie a été publiée dans le Journal de l'Association médicale américaine et fait référence à une analyse des patients de l'hôpital Jinyintan à Wuhan - la ville épicentre de l'épidémie. Elle révèle qu'un peu plus de la moitié des personnes touchées par le virus sont des adultes âgés de 40 à 59 ans - seuls 10 % des patients ont moins de 39 ans. \"Les cas chez les enfants ont été rares\", ont écrit les chercheurs. Mais pourquoi en serait-il ainsi ? Les enfants sont-ils simplement plus résistants au coronavirus ? Une faible incidence chez les enfants Il existe de nombreuses théories, mais les experts de la santé n'ont pas de réponse définitive quant à la raison pour laquelle peu de cas chez les enfants ont été confirmés. \"Pour des raisons qui ne sont pas tout à fait claires, les enfants semblent soit échapper à l'infection, soit ne pas avoir d'infection grave\", a déclaré à la BBC, Ian Jones, professeur de virologie à l'Université de Reading. Cela pourrait signifier que les enfants contractent une forme plus bénigne de la maladie, qui peut comprendre l'absence de symptômes - ce qui, à son tour, ne conduit pas à des visites chez le médecin, à des hospitalisations et à un plus grand nombre de cas signalés. Lire aussi: Nathalie MacDermott, chargée de cours clinique à l'University College London, partage cet avis. \"Les enfants de plus de cinq ans et les adolescents ont généralement un système immunitaire assez bien préparé pour combattre les virus\", dit-elle. \"Ils peuvent être encore infectés mais peuvent avoir une maladie beaucoup plus légère ou ne pas présenter de symptômes d'infection\". Les vacances scolaires du Nouvel An lunaire ont-elles aidé à protéger les enfants contre le virus ? Il existe un précédent pour cette faible incidence chez les enfants - les récentes épidémies de coronavirus telles que le Sars, qui a également débuté en Chine en 2003 et a tué environ 800 personnes (soit 10 % des 8 000 cas infectés), ont également été marquées par une faible incidence chez les enfants. En 2007, les experts du Centre de contrôle des maladies (CDC), une agence de santé publique américaine, ont identifié 135 cas pédiatriques de Sars mais ont déclaré qu' \"aucun décès n'a été signalé chez les enfants ou les adolescents\". Les fêtes de fin d'année ont-elles protégé les enfants ? McDermott pense également que les enfants ne sont peut-être pas aussi exposés au virus que les adultes - l'épidémie a commencé pendant les vacances du Nouvel An chinois, pendant lesquelles les écoles étaient fermées. La quasi-totalité des provinces chinoises ont décidé de les maintenir fermées et certaines le resteront jusqu'à la fin du mois de février. \"Les adultes sont plus susceptibles d'agir en tant que soignants et de protéger ou de renvoyer les enfants si quelqu'un est infecté à la maison\". Elle pense que la situation pourrait changer car \"la maladie se propage davantage et le risque d'exposition dans la communauté est plus élevé\". Plus de la moitié des personnes touchées par le virus sont des adultes âgés de 40 à 59 ans Toutefois, la propagation rapide de la maladie ne s'est pas accompagnée jusqu'à présent d'une augmentation des cas pédiatriques. Une fois de plus, la crise du SRAS offre un précédent : les chercheurs du CDC qui ont analysé les cas d'enfants ont constaté que les enfants de moins de 12 ans avaient moins de chances d'avoir besoin d'un traitement hospitalier. A regarder aussi, un étudiant éthiopien raconte comment il vit à Wuhan, une ville chinoise mise en quarantaine à cause du coronavirus. c Le virus a-t-il des effets plus graves chez les adultes que chez les enfants ? Bien que peu d'enfants aient été confirmés comme étant infectés, les experts médicaux ne pensent pas que cela soit dû au fait qu'ils ne contractent pas la maladie. Une explication plus probable est que cette épidémie augmentera le nombre d'affections connues pour avoir des effets plus graves chez les adultes que chez les enfants, comme la varicelle. \"Il est plus probable que les enfants aient une sorte d'immunité (au coronavirus)\", a déclaré Andrew Freedman, expert en maladies infectieuses à l'université de Cardiff, à la BBC. Lire aussi \"Il se pourrait aussi que les autorités ne testent pas les enfants qui ne présentent aucun symptôme ou seulement des symptômes légers\", a-t-il déclaré. Christl Donnelly, expert en épidémiologie statistique à l'université d'Oxford et à l'Imperial College de Londres, est du même avis, citant les preuves de l'épidémie de Sars à Hong Kong. \"La conclusion de nos collègues était que chez les jeunes enfants, l'évolution clinique de la maladie était moins agressive - ils étaient donc moins gravement touchés\". Il y a eu des dizaines de milliers de cas de coronavirus jusqu'à présent, principalement en Chine Les conditions préexistantes Les adultes souffrant de maladies préexistantes qui mettent déjà à rude épreuve leur système immunitaire - diabète ou maladies cardiaques, par exemple - ont tendance à être plus vulnérables à ce type d'épidémie. \"La pneumonie (l'une des conséquences du coronavirus) a tendance à toucher les personnes dont le système immunitaire est affaibli parce qu'elles sont déjà en mauvaise santé ou vers la fin de leur vie\", a expliqué Ian Jones. \"Cela arrive avec la grippe et d'autres infections respiratoires\". Il a été constaté qu'environ la moitié des patients analysés dans l'étude de l'hôpital Jinyintan avaient des maladies chroniques sous-jacentes. Jusqu'à présent, il n'y a pas de preuve évidente que des enfants asymptomatiques - ou des cas bénins - propagent le virus Mais les enfants ne sont-ils pas connus pour répandre des virus ? Les enfants sont en effet généralement enclins à attraper et à propager des infections virales - et sont souvent considérés comme des \"super-étendards\", selon Ian Jones. \"Ils transmettent très facilement des maladies respiratoires, comme le savent tous ceux qui ont des enfants à la crèche\", dit-il. On peut donc s'attendre à voir un grand nombre d'enfants dans les listes des personnes infectées - et des morts - par le nouveau coronavirus, mais ce n'est tout simplement pas le cas actuellement. Un système immunitaire plus fort Il se peut que les enfants aient un système immunitaire plus fort, prêt à combattre les virus, ou que la maladie elle-même se présente de manière moins agressive chez les enfants que chez les adultes, de sorte que les enfants ne sont pas amenés à chercher de l'aide médicale et ne sont pas testés et enregistrés. Une image plus claire devrait émerger avec plus de travail dans la compréhension de l'épidémie actuelle. Mais il se peut aussi que les enfants aient été efficacement isolés de l'exposition par des écoles fermées et des parents protecteurs. Dans ce cas, nous en saurons plus lorsque les enfants de toute la Chine seront retournés à l'école."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54233244", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54230715", "doc1": "এসব দলিলে আরও দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ক্ষমতাবলয়ের সঙ্গে যুক্ত ধনী গোষ্ঠীপতিরা কিভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারিই করা হয়েছিল যাতে তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে টাকা পাচার করতে না পারে। গত পাঁচ বছর ধরে গোপন লেন-দেন, অর্থ পাচার এবং আর্থিক অপরাধ বিষয়ে যেসব গোপন দলিল ফাঁস হয়েছে, তা থেকে সর্বশেষ এসব ঘটনার কথা জানা গেছে। 'ফিনসেন ফাইল‌স' কী? ফিনসেন ফাইলস হচ্ছে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রায় আড়াই হাজার দলিল। ২০০০ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিল এসব দলিল। ব্যাংকের গ্রাহকরা আসলে যা করছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এসব দলিলে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়, এমন ধরনের দলিল এগুলো। ব্যাংকগুলো যখন কোন গ্রাহকের আচরণে সন্দেহজনক কিছু দেখে, তখন তারা এরকম রিপোর্ট পাঠায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু এসব দলিল অপরাধ বা বেআইনি কোন কাজের প্রমাণ নয়। এই দলিলগুলো ফাঁস করা হয়েছিল বাজফীড নিউজের কাছে। এরপর সারা বিশ্বের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব দলিল শেয়ার করা হয়। ৮৮টি দেশের ১০৮টি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব দলিল বিতরণ করা হয়। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানও এই অনুসন্ধান কাজে যুক্ত ছিল। শত শত সাংবাদিক এই বিপুল পরিমাণ দলিল ঘেঁটে অনুসন্ধান কাজটি চালিয়েছেন। বেশিরভাগ দলিল খুবই টেকনিক্যাল। ব্যাংকগুলো প্রকাশ করতে চায় না, এমন অনেক কাজকর্ম সাংবাদিকরা তাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে উদঘাটন করেছেন। 2,657documents including 2,121 Suspicious Activity Reports ফিনসেন এবং সার্স: এ দুটি সংক্ষিপ্ত শব্দের মানে কী ফিনসেন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের 'ফাইনান্সিয়াল ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন নেটওয়ার্ক'(FinCEN) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে আর্থিক অপরাধ দমনে কাজ করে । মার্কিন ডলারে যত লেন-দেন হয়, সেটা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ঘটে থাকে, সেই লেন-দেন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা ফিনসেনের কাছে পাঠাতে হয়। সার্স হচ্ছে ইংরেজিতে 'সাসপিসিয়াস এক্টিভিটি রিপোর্টস' এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরকম সন্দেহজনক লেন-দেনের বিষয়গুলো এই সার্সের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা হয়। কোন ব্যাংকের যদি তাদের কোন গ্রাহকের লেন-দেন নিয়ে সন্দেহ জাগে, তখন এই ���ার্স রিপোর্ট লিখে তাদের পাঠাতে হয় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে। এর গুরুত্ব কোথায়? আপনি যদি কোন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে লাভবান হওয়ার পরিকল্পনা কষে থাকেন, তাহলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে আপনাকে ঠিক করে রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে, অর্জিত অবৈধ কালো অর্থ কিভাবে আপনি 'সাদা' করবেন। মানি লন্ডারিং মানে হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া। যেমন, মাদক চোরাচালান বা দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ কোন একটা ব্যাংকের একাউন্টে এমনভাবে জমা করা, যাতে করে আগের অপরাধের সঙ্গে এই অর্থের কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া না যায়। ধরা যাক আপনি একজন রুশ অলিগার্ক বা ধনী গোষ্ঠীপতি ব্যবসায়ী। আপনার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যাতে আপনি এসব দেশে অর্থ আনতে না পারেন। এখন অর্থ পাচার করতে গেলে, আপনাকে একই ধরনের 'মানি লন্ডারিং' এর আশ্রয় নিতে হবে। নিয়ম ভেঙ্গে কোন গ্রাহক যেন এভাবে অর্থ পাচার করতে না পারে, বা কালো অর্থ সাদা করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা ব্যাংকগুলোর কাজ। আরও পড়ুন: কর ফাঁকি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনায় দুর্বলতা কোথায়? লাখো কোটি টাকা পাচারের তথ্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য? আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই জানতে হবে তাদের গ্রাহক কারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটা সার্স রিপোর্ট পাঠিয়ে দিলেই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। গ্রাহকদের কাছ থেকে কালো অর্থ নেয়া অব্যাহত রেখে তারা এটা আশা করতে পারে না যে কর্তৃপক্ষই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। যদি ব্যাংকগুলোর কাছেই কোন অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ থাকে, তখন তাদেরই এরকম লেন-দেনে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচি‌ৎ। ফার্গাস শিয়েল কাজ করেন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে। তিনি বলছেন, বিশ্বজুড়ে কী বিপুল পরিমাণ কালো অর্থ পাচার হচ্ছে তার ওপর দৃষ্টিপাতের সুযোগ করেছ দিয়েছে এই ফাঁস হওয়া দলিলগুলো। তিনি বলেন, এই লেন-দেনের সঙ্গে কি বিপুল অংকের অর্থ জড়িত, সেটাও তুলে ধরেছে এসব দলিল। ফিনসেন ফাইলসের দলিলগুলোতে আছে প্রায় দুই লক্ষ কোটি ডলারের লেন-দেনের কথা। অথচ ২০০০ সাল হতে ২০০১৭ সাল পর্যন্ত যত সার্স রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, এই ফিনসেন ফাইলস কিন্তু তার একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। ফাঁস হওয়া দলিল থেকে যা জানা গেছে: লন্ডন বিশ্বের ব্যাংকিং সেবা ব্যবস্থার এক বড় কেন্দ্র এবারের ফাঁস হওয়া দলিল কেন আলাদা সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এরকম আরও অনেক আর্থিক দলিল ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে ছিলঃ তবে ফিনসেন ফাইলস আগের ফাঁস হওয়া দলিলপত্র থেকে একটু আলাদা। এগুলো কেবল একটি বা দুটি কোম্পানির দলিলপত্র নয়। এসব দলিল এসেছে বহু ব্যাংক থেকে। এই দলিলপত্রে ধরা পড়েছে অনেক সন্দেহজনক লেন-দেন যার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসব লেন-দেন হয়েছে, তাদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ার পরও কেন তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সে প্রশ্নও উঠেছে। ফিনসেন বলেছে, এসব দলিল ফাঁস হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে তাদের নিজস্ব তদন্তে বিঘ্ন হতে পারে। যেসব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি এসব রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ফিনসেন অবশ্য গত সপ্তাহে অর্থ পাচার-বিরোধী কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এক প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্যও ঘোষণা করেছে যে, জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে তারা কোম্পানি নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যের নিয়মনীতি সংস্কার করে ঢেলে সাজাচ্ছে।", "doc2": "Ils montrent également comment les oligarques russes ont utilisé les banques pour éviter les sanctions qui étaient censées les empêcher de faire entrer leur argent en occident. C'est la dernière d'une série de fuites qui ont eu lieu au cours des cinq dernières années et qui révèlent des transactions secrètes, le blanchiment d'argent et la criminalité financière. Quels sont les dossiers du FinCEN ? Les dossiers FinCEN sont plus de 2 500 documents, dont la plupart sont des dossiers que les banques ont envoyés aux autorités américaines entre 2000 et 2017. Ils suscitent des inquiétudes quant à ce que leurs clients pourraient faire. Ces documents font partie des secrets les mieux gardés du système bancaire international. Les banques les utilisent pour signaler des comportements suspects, mais ils ne constituent pas une preuve de méfait ou de crime. Lire aussi Ils ont été divulgués à Buzzfeed News et partagés avec un groupe réunissant des journalistes d'investigation du monde entier, qui les a distribués à 108 organismes de presse dans 88 pays, dont le programme Panorama de la BBC. Des centaines de journalistes ont passé au crible cette documentation technique dense, mettant au jour certaines activités que les banques préféreraient que le public ignore. 2 657documents incluant 2 121 Rapports d'activités suspectes Deux acronymes que vous devez connaître FinCEN est le réseau américain de lutte contre les crimes financiers. Ce sont les fonctionnaires du Trésor américain qui luttent contre la criminalité financière. Les inquiétudes concernant les transactions effectuées en dollars américains doivent être transmises à FinCEN, même si elles ont eu lieu en dehors des États-Unis. Les rapports d'activités suspectes, ou SAR, sont un exemple de la manière dont ces préoccupations sont enregistrées. Une banque doit remplir l'un de ces rapports si elle craint que l'un de ses clients ne soit pas à la hauteur. Le rapport est envoyé aux autorités. A visit to one of the ‘dodgiest addresses in the world’ Pourquoi est-ce important ? Si vous envisagez de tirer profit d'une entreprise criminelle, l'une des choses les plus importantes à mettre en place est un moyen de blanchir l'argent. Le blanchiment d'argent consiste à prendre l'argent sale - le produit de crimes tels que le trafic de drogue ou la corruption - et à le placer sur un compte dans une banque respectée où il ne sera pas lié au crime. Le même processus est nécessaire si vous êtes un oligarque russe contre lequel les pays occidentaux ont pris des sanctions pour vous empêcher d'y faire entrer votre argent. Les banques sont censées s'assurer qu'elles n'aident pas leurs clients à blanchir de l'argent ou à le déplacer d'une manière qui enfreint les règles. Selon la loi, elles doivent savoir qui sont leurs clients - il ne suffit pas de déposer des demandes de renseignements et de continuer à prendre l'argent sale des clients tout en attendant que les autorités s'occupent du problème. Si elles ont des preuves d'activité criminelle, elles doivent cesser de déplacer l'argent. Fergus Shiel, du Consortium international des journalistes d'investigation (ICIJ), a déclaré que les dossiers divulgués étaient \"un aperçu de ce que les banques savent des vastes flux d'argent sale à travers le monde\". Il a ajouté que les documents mettaient également en évidence les sommes d'argent extraordinairement importantes impliquées. Les documents des dossiers FinCEN couvrent environ 2 milliards de dollars de transactions et ne représentent qu'une infime partie des déclarations de soupçons soumises au cours de cette période. Qu'est-ce qui a été révélé ? - HSBC a permis à des fraudeurs de déplacer des millions de dollars d'argent volé dans le monde entier, même après avoir appris par des enquêteurs américains qu'il s'agissait d'une escroquerie. - JP Morgan a permis à une société de transférer plus d'un milliard de dollars sur un compte à Londres sans savoir qui en était le propriétaire. La banque a découvert par la suite que la société pouvait appartenir à un mafieux figurant sur la liste des 10 personnes les plus recherchées par le FBI. - L'un des plus proches associés du président russe Vladimir Poutine a utilisé la banque Barclays à Londres pour éviter les sanctions qui devaient l'empêcher d'utiliser les services financiers en occident. Une partie de l'argent a été utilisée pour acheter des œuvres d'art. - Le mari d'une femme qui a fait don de 1,7 million de livres sterling au Parti conservateur britannique au pouvoir a été secrètement financé par un oligarque russe ayant des liens étroits avec le président Poutine. - Le Royaume-Uni est qualifié de \"juridiction à haut risque\" et comparé à Chypre, par la division du renseignement du FinCEN. Cela s'explique par le nombre de sociétés britanniques enregistrées qui apparaissent dans les RAS. Plus de 3 000 sociétés britanniques sont mentionnées dans les fichiers du FinCEN, soit plus que dans tout autre pays. - La banque centrale des Émirats arabes unis n'a pas donné suite aux avertissements concernant une entreprise locale qui aidait l'Iran à se soustraire aux sanctions. - La Deutsche Bank a transféré l'argent sale des blanchisseurs d'argent vers le crime organisé, les terroristes et les trafiquants de drogue. - Standard Chartered a transféré des espèces pour l'Arab Bank pendant plus d'une décennie après que les comptes de clients de la banque jordanienne ont été utilisés pour financer le terrorisme. Canary Wharf, le cœur du réseau bancaire londonien En quoi cette fuite est-elle différente? Il y a eu un certain nombre de fuites importantes d'informations financières ces dernières années, notamment : - 2017 Paradise Papers - Un énorme lot de documents ayant fait l'objet d'une fuite provenant d'un prestataire de services juridiques offshore Appleby et du prestataire de services aux entreprises Estera. Les deux entreprises ont opéré ensemble sous le nom d'Appleby jusqu'à ce qu'Estera devienne indépendante en 2016. Ils ont révélé les transactions financières offshores de politiciens, de célébrités et de chefs d'entreprise - 2016 Panama Papers - Des documents divulgués du cabinet d'avocats Mossack Fonseca en disent plus sur la façon dont les riches utilisent les régimes fiscaux offshore à leur avantage - Fuites en Suisse en 2015 - Des documents de la banque privée suisse HSBC montrent comment elle utilise les lois du pays sur le secret bancaire pour aider ses clients à éviter de payer des impôts - 2014 LuxLeaks contenait des documents du cabinet d'expertise comptable PricewaterhouseCoopers montrant que les grandes entreprises utilisaient des accords fiscaux au Luxembourg pour réduire le montant qu'elles devaient payer Les documents FinCEN sont différents car ils ne sont pas seulement des documents d'une ou deux entreprises, mais aussi de plusieurs banques. Ils mettent en évidence toute une série d'activités potentiellement suspectes impliquant des entreprises et des particuliers et soulèvent également des questions sur les raisons pour lesquelles les banques qui avaient remarqué ces activités n'ont pas toujours donné suite à leurs préoccupations. Selon FinCEN, la fuite pourrait avoir un impact sur la sécurité nationale des États-Unis, compromettre les enquêtes et menacer la sécurité des institutions et des personnes qui déposent les rapports. Mais la semaine dernière, il a annoncé des propositions de révision de ses programmes de lutte contre le blanchiment d'argent. Le Royaume-Uni a également dévoilé des plans pour réformer son registre d'informations sur les sociétés afin de lutter contre la fraude et le blanchiment d'argent."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54735303", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54736445", "doc1": "নিস শহরে ছুরি নিয়ে চালানো হামলায় নিহত একজনের আত্মীয় গির্জার সামনে আহাজারি করছেন। নিস শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি বলেছেন ''নত্রে ডেম গির্জার মধ্যে এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।'' একজন নিহত ব্যক্তি যিনি গির্জায় প্রার্থনা করতে এসেছিলেন তার ''প্রায় শিরশ্ছেদ'' করা হয়েছে। হামলার পরপরই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মি. এসট্রসি এটাকে ''ইসলামী- ফ্যাসিবাদ'' বলেছেন এবং বলেছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি \" বারবার আল্লাহু আকবর\" ধ্বনি দিচ্ছিল। এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থলে গেছেন। ফ্রান্সের জাতীয় সন্ত্রাস দমন বিষয়ক কৌঁসুলি খুনের তদন্ত শুরু করেছেন। মি. এসট্রসি এই হত্যাকাণ্ডকে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির সাম্প্রতিক হত্যার সাথে তুলনা করেছেন। এ মাসে গোড়ার দিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে ঐ স্কুল শিক্ষককে স্কুলের কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়। তবে নিস শহরের হামলার ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি। তবে ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এবং কয়েকদিন ধরেই কিছু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কোন কোন দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার আরও দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ফ্রান্সে এবং অন্যটি সৌদি আরবে। ফ্রান্সে আভিন্ন্যুয়ার কাছে মঁফাভেত শহরে পুলিশকে হ্যান্ডগান নিয়ে হুমকি দেয়ার পর এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর জেদ্দাতে ফরাসি দূতাবাসের বাইরে একজন রক্ষীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঐ রক্ষীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: গির্জায় হামলার কয়েক মিনিট পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয় নিস শহরের ঘটনা সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে? নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন গির্জার ভেতর মারা গেছে। একজন বৃদ্ধা নারী এবং একজন পুরুষ। খবরে বলা হচ্ছে ওই পুরুষকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আরেকজন নারী ছুরিকাহত অবস্থায় কাছের একটি কফির দোকানে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তিনি পরে মারা গেছেন। পরে খবরে জানা গেছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী শহরে যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে তার মাধ্যমে সতর্কসঙ্কেত দিতে সমর্থ হন। গির্জার কাছে থাকেন শ্লো নামে এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন: \"আমরা রাস্তায় অনেক লোকের চেঁচামেচি শুনতে পাই। জানলা দিয়ে দেখি প্রচুর, প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ আসছে। বন্দুকের গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। অনেক গুলির আওয়াজ।\" পুলিশ বলছে স্থানীয় সময় সকাল নয়টার কিছু পর হামলার ঘটনা ঘটে সাংবাদিকতার ছাত্র টম ভ্যানিয়ার হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি বিবিসিকে বলেন রাস্তায় লোকজন কান্নাকাটি করছিল। চার বছর আগে নিস শহরে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এক ব্যক্তি সমুদ্র সৈকতে জনতার ভিড়ের ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৮৬ জন মানুষ। কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে? ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রান্সের সৈকত শহর নিস-এর কেন্দ্রীয় এলাকায় মানুষজনকে না যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন প্যারিসে মন্ত্রণালয়ের একটি জরুরি বৈঠক তিনি ডাকছেন। আরও দেখতে পারেন: ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? প্যারিসের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের মাঝখানে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এসময় কোভিড-১৯এর যে লকডাউন আজ রাত থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দিচ্ছিলেন। \"দেশের সামনে এটা খুবই গুরুতর মাপের নতুন একটা চ্যালেঞ্জ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই,\" তিনি বলেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। মুসলিম সংগঠন, ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অফ দ্য মুসলিম ফেইথ নিস শহরে ছুরি নিয়ে চালানো হামলার নিন্দা করেছে। এবং হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে।", "doc2": "L'attentat a eu lieu à la basilique Notre-Dame de Nice Le maire de Nice, Christian Estrosi, a déclaré qu'il y avait eu un \"attentat terroriste au cœur de la basilique Notre-Dame\". Une victime âgée qui était venue prier a été \"décapitée\". Un suspect a été interpellé. M. Estrosi a parlé d' \"islamo-fascisme\" et a déclaré que le suspect avait \"répété sans cesse 'Allahu Akbar' (Dieu est le plus grand)\". Le président Macron (3ème à gauche) a promis une répression de l'extrémisme islamique Le président Emmanuel Macron est arrivé à Nice, et a rencontré des policiers sur les lieux de l'attentat de jeudi. Les procureurs anti-terroristes ont ouvert une enquête pour meurtre et la France a porté son système d'alerte de sécurité nationale à son plus haut niveau. M. Estrosi a comparé l'attentat au récent meurtre du professeur Samuel Paty, décapité près de son école en banlieue parisienne au début du mois. La police n'a pas suggéré de motif pour l'attaque à Nice. Cependant, il fait suite à des jours de protestations dans certains pays à majorité musulmane, déclenchées par la défense par le président Macron de la publication de caricatures représentant le prophète Mahomet. Des appels au boycott des produits français ont été lancés dans certains pays. Lire aussi: Entre-temps, deux autres attentats ont eu lieu jeudi matin, l'un en France et l'autre en Arabie Saoudite. Un homme a été abattu à Montfavet, près d'Avignon, après avoir menacé la police avec une arme de poing. Et un garde a été attaqué devant le consulat français à Djeddah en Arabie Saoudite. Un suspect a été arrêté et le garde a été admis à l'hôpital. Que sait-on de l'attentat de Nice ? Deux des personnes décédées ont été attaquées à l'intérieur de l'église, la femme âgée et un homme qui a été retrouvé la gorge tranchée, selon les rapports. Une femme a réussi à s'enfuir vers un café voisin après avoir été poignardée à plusieurs reprises, mais elle est morte plus tard. Le suspect a été arrêté quelques minutes après l'attaque de la basilique Un témoin avait réussi à donner l'alerte grâce à un système de protection spécial mis en place par la ville. Chloé, un témoin qui vit près de l'église, a déclaré à la BBC : \"Nous avons entendu beaucoup de gens crier dans la rue. Nous avons vu par la fenêtre qu'il y avait beaucoup, beaucoup de policiers qui arrivaient, et des coups de feu, beaucoup de coups de feu\". Tom Vannier, un étudiant en journalisme qui est arrivé sur les lieux juste après l'attaque, a déclaré à la BBC que des gens pleuraient dans la rue. Il y a quatre ans, Nice a été le théâtre d'un autre attentat terroriste, lorsqu'un Tunisien a conduit un camion dans la foule qui célébrait le 14 juillet, jour de la Bastille, tuant 86 personnes. Selon la police, l'attaque s'est produite peu après 09:00 Désemparés et inquiets Selon la police, l'attaque s'est produite peu après 09:00 Le niveau de la menace terroriste en France est aussi élevé aujourd'hui qu'en 2015-16, période des terribles jours de Charlie Hebdo, du Bataclan, du tueur de camions de Nice et du meurtre du père Hamel dans son église à Rouen. Les choses allaient déjà mal à l'époque, et ces attentats ont fait de nombreuses victimes. Alors pourquoi cette flambée de violence islamiste est-elle plus inquiétante? L'une des raisons doit être le symbolisme de la décapitation de Samuel Paty. Le fait qu'un simple professeur d'histoire puisse être assassiné - et non pas choisi au hasard mais en fait désigné pour être assassiné - a été profondément troublant pour les Français. De même, le ciblage aujourd'hui de fidèles chrétiens à Nice. Mais c'est aussi le contexte : la logique d'action-réaction instantanée qui a suivi la solide défense de la laïcité par le président Macron au mémorial de Samuel Paty il y a dix jours. Il a suffi d'un discours, puis il y a eu les menaces, puis il y a eu les morts. Avec un nouveau confinement de la population dû au Covid qui fournit une toile de fond sinistre à ces événements, il n'est pas étonnant que les Français se sentent désemparés et inquiets. Quelle a été la réaction ? Une minute de silence a été observée à l'Assemblée nationale, où le Premier ministre Jean Castex venait de donner des détails sur les mesures de confinement de Covid-19 entrant en vigueur dans la nuit de jeudi. Annonçant le relèvement du système d'alerte de sécurité nationale \"Vigipirate\" à son plus haut niveau, M. Castex a déclaré que l'attentat de Nice était \"aussi lâche que barbare\". Le Conseil français du culte musulman a condamné l'attentat à l'arme blanche et a exprimé sa solidarité avec les victimes et leurs familles. Le Premier ministre britannique Boris Johnson, tweetant en anglais et en français, a déclaré que le Royaume-Uni était \"résolument\" aux côtés de la France. La Turquie, qui a vu ses relations avec la France se refroidir ces derniers jours suite aux propos de M. Macron, a fermement condamné l'attaque au couteau \"sauvage\". Le porte-parole du Vatican, Matteo Bruni, a déclaré que les meurtres avaient \"apporté la mort dans un lieu d'amour et de consolation\". Il a déclaré que le pape François avait été informé de la situation et qu'il était \"proche de la communauté catholique en deuil\". Quel est le contexte ? L'attentat de jeudi fait écho à un autre attentat commis au début du mois près d'une école au nord-ouest de Paris. Samuel Paty, qui était enseignant à Conflans-Sainte-Honorine, a été décapité quelques jours après avoir montré des caricatures controversées du prophète Mahomet à certains de ses élèves. Ce meurtre a accru les tensions en France et la tentative du gouvernement de réprimer l'islam radical a provoqué la colère de la Turquie et d'autres pays. Le président turc Recep Tayyip Erdogan était parmi ceux qui ont appelé au boycott des produits français. La situation s'est aggravée après la parution d'une caricature de M. Erdogan dans le magazine satirique Charlie Hebdo. Une chronologie des récents attentats en France Octobre 2020 : Le professeur de français Samuel Paty est décapité devant une école de la banlieue parisienne Septembre 2020 : Deux personnes sont poignardées et gravement blessées à Paris près des anciens bureaux de Charlie Hebdo, où des militants islamistes ont perpétré un attentat meurtrier en 2015 Juillet 2016 : Deux agresseurs tuent un prêtre, Jacques Hamel, et blessent gravement un autre otage après avoir pris d'assaut une église dans la banlieue de Rouen, dans le nord de la France Juillet 2016 : Un homme armé conduit un grand camion dans la foule qui célèbre le jour de la Bastille à Nice, tuant 86 personnes dans un attentat revendiqué par le groupe de l'État islamique (IS) Novembre 2015 : Des hommes armés et des kamikazes lancent de multiples attaques coordonnées contre la salle de concert du Bataclan, un grand stade, des restaurants et des bars de Paris, faisant 130 morts et des centaines de blessés Janvier 2015 : Deux militants islamistes armés entrent de force dans les bureaux de Charlie Hebdo et abattent 12 personnes."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50847680", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50840002", "doc1": "ইমপিচমেন্টের পক্ষে নিউইয়র্কের রাস্তায় আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হলো এই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন: সেনেটে ইমপিচমেন্ট শুনানি কবে হবে? উত্তর: এখন পর্যন্ত কিছুই শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তবে শীতকালীন ছুটির পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনেট সম্ভবত এই বিচারের ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি নেয়া শুরু করবে। সেনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিকদের নেতা চাক শুমার তেমনটাই অনুরোধ করেছেন। রিপাবলিকান সেনেট নেতা মিচ ম্যাককনেলও হয়তো এই প্রস্তাবে সায় দেবেন। প্রশ্ন: ২০২০ সালের নির্বাচনে কী প্রভাব পড়বে? উত্তর: এটি আসলে খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন - এবং এর উত্তরও আসলে পরিস্কার না। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ এ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিতর্ক শুরুর মুহুর্ত রিপাবলিকানরা এমনটা ফলাও করে প্রচার করছে যে ইমপিচমেন্ট কীভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার অর্থায়নের জন্য সুবিধা তৈরি করে দিচ্ছে। কারণ সমর্থকরা তাদের প্রেসিডেন্টের আশেপাশে আগের চেয়ে জোরেসোরে সমর্থন জানাচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা বলছে এই ইমপিচমেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, যার ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সঙ্কোচের মধ্যে পড়বে। জনসমীক্ষার ফলাফল বলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের পক্ষে ও বিপক্ষের মতামত ইমপিচমিন্ট সংক্রান্ত গত কয়েকমাসের নাটকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বলা যায়, ইমপিচমেন্টের বিতর্ক ওঠার আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে যেরকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেরকম, এখনো লড়াই হবে। প্রশ্ন: ট্রাম্প অভিশংসিত হয়ে পেন্স প্রেসিডে��্ট হলে তিনি কী আইনগতভাবে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে পদত্যাগ করতে পারেন? উত্তর: মার্কিন সংবিধানে এই প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কাজেই এটি খুবই সম্ভব। তবে প্রথমত, মাইক পেন্স ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে চাইলে সেই প্রস্তাব নিম্নকক্ষ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসের এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভস স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে দিতে চাইবে না। এমন সম্ভাবনাও আছে যে, ট্রাম্পকে সেনেট তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার সময়ই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যার ফলে ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্বে আসার সুযোগ হারাবেন। কিন্তু সেনেট যদি তা না করে, তাহলে মাইক পেন্স সহজেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে পারবেন। এবং তখন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে বাধা দেয়া সম্ভব হবে না। প্রশ্ন: সেনেট যদি ট্রাম্পকে শেষপর্যন্ত অভিশংসিত নাই করে, তাহলে এই পুরো প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কী? উত্তর: ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সেনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার প্রায় কোনোরকম সম্ভাবনা না থাকলেও তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার উদ্দেশ্য থেকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার দায়ে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা না করলে হয়তো তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতেন যা ডেমোক্র্যাটদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতো। মিনেসোটায় গত অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বিবেচনা করলেও, দলের সমর্থকদের আনুগত্য ধরে রাখতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটদের। প্রশ্ন: নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সাথে সাথেই কী বিচার শুরু হবে, নাকি সেনেটের ভোট দিতে হয়? উত্তর: আজকের ভোটের ফলে মার্কিন সংবিধান অনুসারে সেনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এর মেয়াদ এবং সময় নির্ভর করছে সেনেটের ওপর। সেনেট কোনো এক সময় এই বিচার সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম এবং অন্যান্য মাপকাঠি ঠিক করবে - তবে কোনো না কোনো ধরণের বিচার পরিচালিত হবেই। একটি বিষয়�� কিছুটা অস্পষ্ট আইনি বিতর্ক রয়েছে যে নিম্নকক্ষের ভোটের পরই সেনেটের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, নাকি নিম্নকক্ষের প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইমপিচমেন্টের কাগজপত্র সেনেটে 'পেশ' করতে হয়। এটি এই জন্য জরুরি, কারণ এমন একটা ধারণা রয়েছে যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত হচ্ছেন যে সেনেট নিরপেক্ষ বিচার আয়োজন করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইমপিচমেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারেন। প্রশ্ন: এই ইমপিচমেন্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স দেয়া সাধারণ মানুষের কী পরিমাণ খরচ হচ্ছে? উত্তর: যদি সুনির্দিষ্টভাবে খরচের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে এটি বলা কঠিন। এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের রাশিয়া সম্পর্কে অনধিকার চর্চার অভিযোগের তদন্তে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার খরচ হয়েছিল। তবে এই প্রক্রিয়া না চালিয়ে কী কী করা যেতো, সেটি আসলে রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভোটের পদ্ধতির সংস্কার, সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার আইন পুনর্নবায়নের মত শত শত আইন প্রণয়ন করেছে - কিন্তু এগুলোর মধ্যে খুব কমই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে অনুমোদিত হয়েছে। প্রশ্ন: ইমপিচ হওয়া প্রেসিডেন্টের বিচার পরিচালনা করেন কে? উত্তর: মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকভাবে সেনেটের ইমিপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। বিচারের গঠনতন্ত্র নির্ধারিত হয় বিচার শুরু হওয়ার আগে সেনেটরদের ভোটে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান বিচারপতির দেয়া রায় ১০০ জনের সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ বলা যায়, রিপাবলিকানরা যদি একমত হন তাহলে যে কোনো সময় বিচারের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারবে। প্রশ্ন:সেনেটের কি রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনা করে ভোট দেয়া উচিত নাকি স্বাধীন বিচারক হিসেবে ভোট দেয়া উচিত? উত্তর: প্রত্যেক সেনেটরকে নিজের বিবেকের দ্বারা চালিত হয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোন পক্ষে ভোট দেবেন। এরই মধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকান ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা প্রেসিডেন্টকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যই ভোট দেবেন। আবার অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন যে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব প্রমাণ সাপে��্ষে প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে পারেন। শুধুমাত্র তারাই জানেন, তারা রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে এরকম সিদ্ধান্তের কথা বলছেন নাকি তারা নিজেদের বিবেক থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।", "doc2": "Les législateurs démocrates devraient approuver mercredi deux requêtes de destitution contre le président républicain Les législateurs démocrates devraient approuver mercredi deux requêtes de destitution contre le président républicain. Si la décision est prise aujourd'hui, Trump va rester au pouvoir pour faire face à une procédure qui va être épiloguée au Sénat. M. Trump doit ensuite faire face à un procès au Sénat le mois prochain, mais cette chambre est contrôlée par des membres de son parti et il est peu probable qu'il soit démis de ses fonctions. Le président a qualifié ce processus de \"tentative de coup d'Etat\" et de \"chasse aux sorcières\". Lire aussi : Dans une lettre de six pages à la veille du vote, M. Trump a fait valoir qu'on lui avait refusé ses droits \"depuis le début de cette arnaque à la destitution\". Il a empêché de hauts fonctionnaires de témoigner devant les législateurs à la Chambre et a refusé de comparaître lui-même. Mardi, la Présidente démocrate de la Chambre, Nancy Pelosi, a annoncé le vote sur les deux accusations. Mme Pelosi a écrit à ses collègues que la destitution est \"l'un des pouvoirs les plus solennels que nous confère la Constitution\" et l'a qualifiée de \"moment très important de l'histoire de notre nation\". Les députés se réunissent mercredi. Les votes sur les deux articles de destitution sont attendus entre 18h30 et 19h30 GMT. Le président Trump est accusé d'abus de pouvoir et d'obstruction au Congrès. Alors que la Chambre se prépare à voter, le président Trump s'envolera pour le Michigan pour un rassemblement de joyeux Noël en compagnie du vice-président Mike Pence. Quelles sont les charges ? Après des heures de débat, le Comité judiciaire de la Chambre sous contrôle démocrate a approuvé la semaine dernière deux accusations contre M. Trump. Le premier est l'abus de pouvoir. Il accuse le président d'essayer de faire pression sur l'Ukraine pour diffamer son rival politique, le candidat démocrate à la présidence Joe Biden. M. Trump et ses alliés conservateurs ont allégué sans preuve que, alors qu'il était vice-président américain, Joe Biden avait encouragé l'Ukraine à congédier son principal procureur afin de l'empêcher d'enquêter sur une société gazière ukrainienne qui employait son fils, Hunter Biden, comme membre du conseil. Lire également : Les démocrates affirment que M. Trump a fait miroiter 400 millions de dollars (236 milliards FCFA) d'aide militaire américaine et la perspective d'une réunion de la Maison-Blanche pour le président ukrainien Volodymyr Zelensky comme monnaie d'échange pour inciter l'allié américain à annoncer une enquête de corruption sur les Biden. Le deuxième chef d'accusation est l'obstruction au Congrès. M. Trump est accusé de ne pas avoir coopéré à l'enquête sur la destitution de la Chambre. Le président a nié avoir retenu l'aide américaine pour son propre bénéfice politique et soutient qu'il était opportun de demander à l'Ukraine d'enquêter sur les allégations de corruption. Les Etats-Unis restent divisés sur le processus de destitution Qu'est-ce que la destitution ? En vertu de la Constitution des États-Unis, un président \" est démis de ses fonctions en cas de destitution et de condamnation pour trahison, corruption ou autres crimes graves ou écarts de conduite\". Il s'agit d'un processus politique et non d'un processus juridique. La première étape a lieu à la Chambre des représentants, qui est actuellement contrôlée par les démocrates. Les membres y tiennent un vote de destitution, qui n'a besoin que d'une majorité simple pour être adopté. Lorsque cela se produira comme prévu, M. Trump aura été formellement destitué, et les procédures se poursuivront au Sénat pour un procès. Si les deux tiers des sénateurs votent ensuite pour condamner le président, celui-ci est démis de ses fonctions. Vous pourrez aussi être intéressé par : Deux présidents américains ont été destitués - Andrew Johnson en 1868 et Bill Clinton en 1998 - mais dans les deux cas, le Sénat n'a pas voté pour les destituer. Richard Nixon a démissionné de la présidence en août 1974 lorsqu'il est devenu évident qu'il serait destitué et évincé par le Congrès à la suite du scandale du Watergate. Des groupes de manifestants en faveur de la destitution de M. Trump se sont rassemblés mardi dans les grandes villes des États-Unis. Beaucoup tenaient des pancartes lisant \"Dump Trump\" et portant le hashtag #ImpeachNow. Les enquêtes suggèrent que le pays est divisé sur le processus. Le site politique américain FiveThirtyEight's collection of national polls montre un peu plus de 47% de destitution, tandis que 46,4% ne le soutiennent pas. Regarder : Le républicain campe sur sa position sur les immigrés"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51941584", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51936507", "doc1": "লন্ডনে ব্যস্ত সময়েও শূন্য মিলেনিয়াম ব্রিজে হেঁটে যাচ্ছেন এক নারী। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃটিশ নাগরিকদের 'অপ্রয়োজনীয়' ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছেন ফরাসি শহর নিসে ভূমধ্যসাগরের দিকে তাকিয়ে একাকী এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সে কঠোর অবরোধের ফলে অধিকাংশ মানুষের ওপর ঘরের ভেতরে থাকার সিদ্ধান্ত এসেছে। দুবাইয়ের একটি সৈকতে ড্রোন দিয়ে তোলা ছবি। সৈকতটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রধান পর্যটন স্পট, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমুদ্রসৈকত, পার্ক ৩০শে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেছে। পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে বিদেশিদের ভিসা দেয়া। মিলানে জনহীন পিয়াজ্জা দুয়োমো। ইতালি জুড়ে মানুষের চলাফেরা সীমিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ফার্মেসি এবং খাবারের দোকান বাদে অন্য সব ধরণের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইতালির সরকার। ভারত সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করায় দিল্লিতে সফদর জংয়ের সমাধিতে নেই মানুষের আনাগোনা। ভেনেজুয়েলার কারাকাসে মানবশূন্য ফ্রান্সিসকো ডে মিরান্ডা অ্যাভিনিউ। ভেনেজুয়েলার নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ঐ এলাকায় মানূষের কাছে গিয়ে তাদের বাড়িতে থাকার বিষয়ে অনুপ্রেরণা তৈরি করছে। পাশাপাশি কাজকর্ম বন্ধ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করছে। নিউ ইয়র্ক শহরে স্কুল, রেস্টুরেন্ট, বারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে। মাদ্রিদের কাছে আলকালা ডে হেনারেস শহরের শূন্য রাস্তায় টহলরত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। স্পেনজুড়ে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জরুরি জিনিসপত্র বা ওষুধ কেনা এবং কাজে যাওয়ার জন্য তারা বাসা থেকে বের হতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জনশূন্য স্কয়ারে বসে আছেন দু'জন। এক জায়গায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রিয়ার সরকার লেবাননে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থাইল্যান্ডে একটি টুরিস্ট বোটে দুইজন পর্যটক। থাইল্যান্ডে পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমেছে। সবকটি ছবি কপিরাইটের অন্তর্ভূক্���", "doc2": "Une femme traverse un Millennium Bridge vide à l'heure de pointe, à Londres. Le Premier ministre Boris Johnson a déclaré que tout le monde au Royaume-Uni devrait éviter les voyages \"non essentiels\" et les contacts avec d'autres personnes pour lutter contre le coronavirus. Un homme observe la Méditerranée, sur la Promenade des Anglais, à Nice, sur la Côte d'Azur. Un confinement obligeant la plupart des Français à rester chez eux est entré en vigueur. Une photo prise avec un drone montre une plage fermée aux visiteurs, à Dubaï. Les Émirats Arabes Unis ont fermé les principaux sites touristiques et culturels, y compris les parcs et les plages, jusqu'au 30 mars, en plus de la suspension de la délivrance des visas aux étrangers. A Milan, la Piazza Duomo est déserte. Dans toute l'Italie, le gouvernement a mis en place des mesures limitant les déplacements des personnes et ordonnant la fermeture des magasins, à l'exception des magasins qui vendent des produits alimentaires et des pharmacies. Le tombeau vide de Safdarjung, à Delhi, où le gouvernement a interdit les grands rassemblements. L'avenue Francisco de Miranda est quasiment vide, à Caracas, capitale du Venezuela. Les forces de sécurité vénézuéliennes se rendent dans les principaux quartiers de Caracas pour encourager les citoyens à se confiner chez eux, à fermer leurs commerces et à prendre des mesures préventives. La ville de New York a ordonné la fermeture des écoles, restaurants, bars et d'autres lieux. Dans la ville d'Alcala de Henares, près de Madrid, des soldats patrouillent dans une rue vide. Dans toute l'Espagne, il est interdit aux gens de quitter leur domicile, sauf pour acheter des produits de première nécessité et des médicaments, ou pour aller travailler. À Vienne, deux personnes sont assises sur une place vide. Le gouvernement autrichien interdit les rassemblements de plus de cinq personnes. Quelques personnes marchent le long de la corniche, à Sidon, après que le Liban a déclaré l'état d'urgence médicale. Un couple à bord d'un bateau touristique, sur le fleuve Chao Phraya, à Bangkok, en Thaïlande, où le nombre de visiteurs a chuté."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49188235", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49187123", "doc1": "হামজা বিন লাদেনের খবর দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে বেনামী সূত্র থেকে উল্লেখ করা ওই খবরে, হামজা বিন লাদেনের মারা যাওয়ার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কিংবা তার মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার সম্পর্কে খোঁজ দেয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। হামজা বিন লাদেন, যার আনুমানিক বয়স ৩০ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের উপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিলেন। তার মৃত্যুর খবর প্রথমে আসে এনবিসি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসে। গত বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অসম্মতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনও এবিষয়ে কোন কথা বলেননি। আরো পড়তে পারেন: কে এই মুসলিমবিরোধী 'বৌদ্ধ বিন লাদেন'? বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? বিন লাদেনের ছেলে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন নেতা? ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে জিহাদিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা বিন লাদেন। আরব উপত্যকার বাসিন্দাদ��র বিদ্রোহ ঘোষণা করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মার্চে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে সৌদি আরব। ধারণা করা হয় যে, ইরানে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য অনেক সূত্র মতে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়াতেও তার বসবাসের খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের দাবি, ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে তার বাবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে নথি জব্দ করা হয়েছে সে অনুসারে আল কায়েদার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তার। এছাড়া আরেক জ্যেষ্ঠ আল কায়েদা নেতার মেয়ের সাথে তার বিয়ের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। বিয়েটি ইরানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তার শ্বশুর ছিল আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ বা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়া এবং কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার পেছনে জড়িত ছিল আল কায়েদা সংগঠন। তবে গত দশকে আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আল কায়েদার নামডাক কমে যায়। আমেরিকার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেড়ে ওঠা এক ছেলে বিবিসি নিউজের ক্রিস বাকলার এক বিশ্লেষণে বলেন, হামজা বিন লাদেনের বয়স কত তা বলতে না পারাই প্রমাণ করে যে মার্কিন কর্মকর্তারা তার সম্পর্কে কত কম জানে। গত কয়েক মাস ধরে তারা এই ধারণা উপর ছিলো যে, সে হয়তো আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা ইরানে রয়েছে। কিন্তু তারা কখনোই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ঠিক কোন দেশে আমেরিকার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তিটি লুকিয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে লাখো ডলারে পুরষ্কার ঘোষণা শুধু তার দ্বারা ভয়াবহ হুমকির মাত্রাকেই বোঝায় না, বরং আল কায়েদায় তার প্রতীকী গুরুত্বও তুলে ধরে। তার বাবা যখন ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তখন হামজা শিশু ছিল। তবে চরমপন্থী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, সেসময় বাবার পাশেই ছিল সে। ২০০১ সালে কাবুলের কাছে ওসামা বিন লাদেন যে ছেলেটি আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শেখার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে, তার কাছে বিশেষ বাহিনীর হাতে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকাটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর উপর হামলার আহ্বান জানিয়ে অনলাইন বার্তা দিয়ে আসছিলেন তিনি। হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর সঠিক হলে, এটি আল কায়েদার নতুন কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেবে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্��াত সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনাকারী সংগঠনটির হুমকি শেষ করতে পারবে না। আল-কায়েদা: মৌলিক বিষয় • ১৯৮০র দশকে আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি যখন আরবের স্বেচ্ছাসেবীরা সোভিয়েত সেনাদের হটাতে মার্কিন সমর্থিত আফগান মুজাহিদিন বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। • ওসামা বিন লাদেন এই স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্যে একটি সংগঠন তৈরি করে আল কায়েদা নামে যার অর্থ \"ভিত্তি\"। • ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। ১৯৯৬ সালে আবার ফিরে আসেন হাজারো বিদেশি মুসলিম সদস্যদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির চালাতে। • আমেরিকা, ইহুদী এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে \"পবিত্র যুদ্ধ\" ঘোষণা করেছিল আল কায়েদা।", "doc2": "Les Etats-Unis avaient offert 1 million de dollars pour toutes informations permettant de le retrouver. Le Pentagone n'a donné aucun détail sur les circonstances, le lieu et la date du décès mais les Etats-Unis ont contribué à l'opération visant à l'éliminer selon le New York Times et la chaîne NBC. En février, le gouvernement américain avait offert jusqu'à un million de dollars pour toutes informations menant à sa localisation, craignant de plus en plus qu'il ne devienne un leader charismatique d'un Al-Qaïda revitalisé. Interrogé par des journalistes, le président américain Donald Trump a refusé de faire des commentaires sur cette information, tout comme le conseiller à la sécurité nationale John Bolton. Hamza Ben Laden, âgé d'une trentaine d'années, avait publié des messages audio et vidéo appelant à des attaques contre les États-Unis et d'autres pays. Lira aussi : Il a exhorté les djihadistes à venger le meurtre de son père par les forces spéciales américaines au Pakistan en mai 2011. Il avait également appelé le peuple de la péninsule arabique à se révolter. L'Arabie saoudite lui a retiré sa citoyenneté en mars. Al-Qaïda était à l'origine des attaques dévastatrices du 11 septembre 2001 contre les États-Unis, mais le groupe fut éclipsé par son rival encore plus fanatique, le groupe Etat islamique au cours de la dernière décennie."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48364154", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48350721", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্রর শুল্ক আরোপে প্রভাব পড়ছে চীনা কোম্পানি গুলোতে কিন্তু এ যুদ্ধে লাভবান হচ্ছে অন্য একটি দেশ। চীনে পণ্য উৎপাদকদের রীতিমত প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে যেনো তারা দ্রুত তাদের কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক প্রভাবিত করবে না এমন দেশে সরিয়ে নেয়। আর এমন দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়েতনাম, চীনেরই প্রতিবেশী। ব্যবসা বান্ধব হিসেবে দেশটি ইতোমধ্যেই বেশ জায়গা করে নিয়েছে। এখন চীনা বিনিয়োগের গন্তব্যও তাই ভিয়েতনাম। অবশ্য বিদেশী কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভিয়েতনামের সস্তা শ্রম আর চমৎকার ব্যবসার পরিবেশের সুফল নিচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস এর ম্যারি লাভলির মতে, চীনে শ্রমের মজুরি অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই তার সুফল পেতে শুরু করেছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর ���িছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করলে চীনা বিনিয়োগও ভিয়েতনামের দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে যে পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ হয়েছে তা ২০১৮ সালের মোট বিনিয়োগের ৬৫ শতাংশ। চীন আর আমেরিকার মধ্যে কি যুদ্ধ বেধে যাবে? বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশের চামড়ার বাজারে? যুক্তরাষ্টের সাথে বাণিজ্য চুক্তি, কেন চাপে চীন বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? হো চি মিন সিটি, দেশটির প্রধান শিল্প এলাকা ভিয়েতনামের সাফল্যের গল্প গত এক দশকে ভিয়েতনামের অর্থনীতি বেশ দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি খুব ভালো করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পর চীনা বিনিয়োগ আসছে দ্রুতগতিতে। কর্পোরেট ল ফার্ম বেকার অ্যান্ড ম্যাকেঞ্জি বলছে, অনেক কোম্পানি চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বের আগেই চীনের বাইরে বিনিয়োগ করে আসছে। \"আর সাম্প্রতিক বাণিজ্য দ্বন্দ্ব সেটিকেই আরও উস্কে দিয়েছে।\" আইএলও'র হিসেবে, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামের কর্মরত শ্রমিক ছিলো প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখ। শ্রম খরচ ভিয়েতনামেও বাড়ছে, কিন্তু তারপরেও সেটি প্রতিবেশী চীনের তুলনায় অনেক কম। আবার জমি ও খরচের দিক থেকেও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সক্ষমতাও বাড়ছে ভিয়েতনামের। যদিও কিছুটা বাড়ছে শিল্প এলাকার খরচ আর এটাও বলা হচ্ছে চীনা বিনিয়োগ পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে। নিষেধাজ্ঞায় পড়বে ভিয়েতনামও? যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যেসব প্রতিষ্ঠান দ্রুত ভিয়েতনামে সরে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বেশ ভালো করেই দেখছে যে এসব চীনা প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে অন্যত্র যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই টুইট করেছন: \"শুল্ক আরোপিত অনেক কোম্পানি চীন ছেড়ে ভিয়েতনাম বা এশিয়ার অন্য দেশে যাচ্ছে। সে কারণই চীন চুক্তিটি বাজে ভাবে করতে চাইছে।\" কাজেই ধারণা যায়, ভবিষ্যতে 'মেড ইন ভিয়েতনাম' ট্যাগটি নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।", "doc2": "Les industries chinoises ont été touchées par les hausses tarifaires américaines Les fabricants chinois sont donc incités à déplacer leur production vers des pays qui ne sont pas assujettis à ces droits de douane. Et l'un de ces pays bénéficiaires a été le Vietnam, voisin du sud de la Chine, de plus en plus favorable aux affaires. Lire aussi: En Chine, la croissance annuelle la plus lente depuis 1990 Google bloque l'utilisation d'Android à Huawei USA-Chine: Xi Jingping chez Trump Alors que pouvons-nous dire au sujet du changement de l'investissement chinois au Vietnam ? La première chose à noter est que les entreprises étrangères, y compris celles de Chine, ont longtemps profité de la main-d'œuvre moins chère et de l'environnement commercial attrayant du Vietnam, bien avant l'imposition de la première série de sanctions américaines en septembre dernier. \"Le Vietnam a déjà gagné du terrain car les salaires ont augmenté en Chine \", déclare Mary Lovely à l'Institut Peterson pour l'Economie internationale, un groupe de réflexion basé aux États-Unis. Mais il semble également que les investissements se soient accélérés depuis l'imposition de sanctions américaines contre la Chine l'année dernière. Au cours des quatre premiers mois de cette année, les investissements chinois au Vietnam ont déjà atteint environ 65% du total pour 2018. Il y a donc certainement eu une augmentation des investissements chinois, mais quelle est la part des droits de douane dans tout cela ? Lire aussi: La Chine défend ses investissements africains Trump exhorte Pyongyang à négocier L'histoire à succès du Vietnam L'économie du Vietnam a connu une croissance rapide au cours de la dernière décennie. Son industrie manufacturière s'est particulièrement bien comportée, avec des multinationales comme IKEA, par exemple, qui y ont renforcé leurs activités. Et bien que la croissance de l'industrie soit une tendance à long terme, les experts disent qu'il y a de plus en plus de preuves qu'un régime tarifaire américain plus strict sur les produits chinois stimule les investissements au Vietnam. \"De nombreuses entreprises investissaient dans la production à l'extérieur de la Chine, en particulier en Asie du Sud-Est, avant le conflit commercial actuel \", selon le cabinet d'avocats Baker & McKenzie, basé à Hong Kong, mais \" les récents conflits commerciaux ont simplement accéléré cette évolution \". Il y a cependant des signes clairs que les pressions de la croissance rapide au Vietnam font sentir leurs effets. Selon l'Organisation internationale du travail, un peu plus de 14,5 millions de personnes travaillaient dans l'industrie au Vietnam en 2018. Ce chiffre se compare à plus de 200 millions en Chine. Lire aussi: Les coûts de la main-d'œuvre au Vietnam augmentent et le pays a moins de nouvelle main-d'œuvre disponible que son géant voisin . La capacité du Vietnam à continuer d'absorber les investissements étrangers sera également limitée par l'augmentation des coûts des terrains et des usines. Selon JLL Vietnam, une société spécialisée dans l'immobilier, les loyers industriels ont augmenté de 11% au second semestre 2018 dans le sud du Vietnam. Cela a été attribué au déplacement des producteurs chinois, en partie à cause des tarifs douaniers. Ho Chi Minh Ville au sud du Vietnam, la principale région de production du pays Sanctions contre le Vietnam ? Pour les entreprises qui transfèrent tout ou une partie de leur chaîne d'approvisionnement de la Chine au Vietnam afin d'éviter les sanctions américaines, il existe un risque que les États-Unis prennent également des mesures contre le Vietnam. Certaines multinationales adoptent une approche \"Chine plus un\" - des entreprises qui gardent un pied en Chine tout en opérant dans une économie à bas salaires ailleurs en Asie. L'administration américaine est consciente du passage à des activités de production en dehors de la Chine comme moyen d'éviter les sanctions. Lire aussi: Les Etats-Unis accusent la Chine et la Russie Trump met en garde les partenaires commerciaux de l’Iran Chine: la croissance économique continue Le Président Trump a récemment envoyé un tweet : \"De nombreuses sociétés bénéficiant de tarifs douaniers quitteront la Chine pour le Vietnam et d'autres pays d'Asie. C'est pour ça que la Chine veut tellement conclure un accord !\" Dans l'escalade de la guerre commerciale entre les Etats-Unis et la Chine, l'étiquette \" Made in Vietnam \" ne suffira peut-être pas à l'avenir pour éviter les droits de douane américains. Pour en savoir plus, lisez Reality Check Envoyez-nous vos questions Suivez-nous sur Twitter"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54540048", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54525639", "doc1": "বাদুড় পৃথিবীতে রয়েছে পাঁচ কোটি বছরের ওপর মাস্কে মুখ ঢেকে, সারা গা ঢাকা পোশাক ও তিন পরতের দস্তানা পরে তিনি গুহার অন্ধকারে দড়ির মই বেয়ে নামেন। গুহার এক কুঠুরি থেকে আরেক কুঠুরিতে ঢুকতে তাকে রীতিমত কসরৎ করতে হয়। আফ্রিকার জিম্বাবোয়েতে এই গুহার ভেতরে সর্বত্র বাদুড়ের দুর্গন্ধ, মেঝেতে তাদের বিষ্ঠা জমে আছে পরতে পরতে। সেখান দিয়ে তাক��� সন্তর্পণে হাঁটতে হয়। তাজা বরফের ওপর দিয়ে হাঁটলে পায়ের নিচে যেমন বরফ ভাঙে, তেমনি তার পায়ের চাপে বিষ্ঠার পরত ভাঙে গুহার মধ্যে। হঠাৎ হঠাৎ বাদুড়গুলো আচমকা ঘুম ভেঙে ডানা ঝাপটায়। ভেতরে উড়ে বেড়ায়। জিম্বাবোয়ের মানুষ বাদুড়কে ডাকেন ''ডানাওয়ালা ড্রাগন'', ''উড়ন্ত ইঁদুর'' বা শুধু ''শয়তান'' নামে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্তন্যপায়ী জীবটিকে বহু রোগের উৎস হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু এর ভিত্তি কতটা সঠিক? ছোট প্রজাতির বাদুড় সাধারণত বাস করে গুহার ভেতরে ড. বুওরগারেল ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিরাড-এর জন্য ভাইরাস অনুসন্ধানীর কাজ করেন। তিনি কাজ করেন জিম্বাবোয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি এবং তার সহকর্মীরা জিম্বাবোয়েতে বাদুড়ের গুহা থেকে বাদুড়ের বিষ্ঠা এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর গবেষণাগারে, বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের ভাইরাস থেকে জিন আলাদা করেন এবং সেই জিনের গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেন। তারা ইতোমধ্যেই বাদুড়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সার্স এবং সার্স-কোভ-২ ভাইরাসও। বাদুড় যেসব ভাইরাসের বাহক সেগুলোর জিনগত গঠন এবং তার বৈচিত্র বোঝার জন্য বিশ্ব ব্যাপী যেসব গবেষণা চলছে তার অংশ হিসাবে কাজ করছেন ড. বুওরগারেল ও তার সহকর্মীরা। তাদের গবেষণার একটা লক্ষ্য হলো বাদুড়বাহী ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত বা অসুস্থ হলে কীভাবে তার মোকাবেলা করতে হবে সে বিষয়ে প্রস্তুত থাকা। \"স্থানীয় মানুষ প্রায়শই বাদুড়দের বাসস্থান এই গুহাগুলোতে যায় বাদুড়ের বিষ্ঠা সংগ্রহ করতে। স্থানীয়রা ফসল ক্ষেতে সার হিসাবে এই বিষ্ঠা ব্যবহার করে। কাজেই এই বাদুড় কীধরনের জীবাণু বহন করে তা জানা একান্তই জরুরি। কারণ খাদ্যের মাধ্যমে এসব ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে কিনা তা জানার প্রয়োজন রয়েছে,\" বলছেন জিম্বাবোয়ে ইউনিভার্সিটির ড. এলিজাবেথ গোরি। আরও পড়তে পারেন: বাদুড়ের গুহায় ঢোকার সময় বিজ্ঞানীরা পুরো সুরক্ষা পোশাক পরেন। বাদুড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিত্তিহীন ভয় আর পৌরাণিক ধারণা থেকে কোনরকম ভাইরাস সংক্রমণ হলেই বাদুড়কে তার জন্য দায়ী করার একটা প্রবণতা রয়েছে। তারা বলছেন বাদুড় সম্পর্কে মানুষের সবচেয়ে বেশি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে এবং পৃথিবীতে বাদুড়ের মূল্যায়ন হয়েছে সবচেয়ে কম। তাদের মতে এই ভ্রান্ত ধারণার কারণ��� বাদুড় একটা বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। পুরাকাহিনি, গল্পগাঁথা ও নানা সংস্কারের কারণে বাদুড়কে দেখা হয় মানুষের জন্য একটা অভিশাপ বয়ে আনা প্রাণী হিসাবে। আর সংস্কৃতির শিকড়ে গেঁথে যাওয়া এসব ভয়ভীতি ও পৌরাণিক সংস্কার কোভিডের পর আরও তীব্র হয়েছে। বাদুড় সম্পর্কে কিছু তথ্য তথ্য সূত্র: ব্যাট কনজারভেশন ইন্টারন্যাশানাল যে করোনা ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে সেই কোভিড-১৯এর সঠিক উৎস এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের একটা ব্যাপক অংশ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, এই ভাইরাস কোন প্রাণী প্রজাতি থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এবং সেই প্রাণী খুব সম্ভবত বাদুড়। তবে এর মানে এই নয় যে এর জন্য বাদুড়রা দায়ী। বাদুড় বিশেষজ্ঞ এবং বাদুড় সংরক্ষণকে জরুরি বলে মনে করেন যেসব বিশেষজ্ঞ তারা বলছেন এর জন্য দায়ী মানুষের আচরণ। বাদুড় মানুষকে এই ভাইরাস দেয়নি, তারা বলছেন মানুষ যেভাবে বন্য প্রাণীর স্বাভাবিক জীবন যাপনে হস্তক্ষেপ করছে সেটাই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকার মূলে। মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করছে, বন্য প্রাণীর আবাসস্থলে হানা দিচ্ছে নানা কারণে এবং নতুন নতুন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে সে কারণেই - বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা। নেচার সাময়িকীর এক নিবন্ধ বলছে, যখন বনাঞ্চল কেটে বা জমির ঘাস তুলে গরুর খাবার বানানো হয়, বা সয়াবীন চাষের জন্য অথবা রাস্তা ও বসতি নির্মাণের জন্য জমি ও জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়, তখন বন্য প্রাণীদের স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস হয়, তারা মানুষ ও গবাদি পশুর কাছাকাছি এসে বাসা বাঁধতে বাধ্য হয় এবং এর ফলে এসব প্রাণীদেহ থেকে ভাইরাস মানুষের শরীরে সহজে ঢোকার সুযোগ তৈরি হয়। \"এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সম্ভাব্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলোর বাহক হিসাবে অন্যান্য অনেক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বাদুড় অবশ্যই একটি,'' বলছেন পর্তুগালের পোর্তো বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকার্ডো রোশা। তবে তিনি বলছেন ১,৪০০ বা তার বেশি প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পোষা জন্তু এবং ইঁদুর প্রজাতির বড় সংখ্যক পশুর শরীরের ভাইরাস থেকে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশংকাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। কারণ এসব পশুপাখি মানুষের বাসস্থানের খুব কাছাকাছি থাকে। আরও পড়তে পারেন: ২০০০ সাল থেকে বোর্নিওতে ২০ হাজার বর্গ মাইল জঙ্গল কেটে ফেলা হ��়েছে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন মানুষের শরীরে নতুন যেসব সংক্রমণ হচ্ছে তার প্রতি চারটির মধ্যে তিনটিরই উৎস কোন প্রাণী। ২০০২ সালে এই ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল, যখন চীনে রহস্যজনক রোগ সার্সের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সার্সে বিশ্বে মারা গিয়েছিল প্রায় ৮০০ মানুষ। গবেষকরা ২০১৭ সালে চীনের ইউনান প্রদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুহার ভেতরে হর্স-শু ব্যাট নামে বিশেষ এক প্রজাতির বাদুড়ের আস্তানা খুঁজে পান। যাদের শরীরে মানুষের শরীরে পাওয়া সার্স ভাইরাসের জিন পাওয়া গিয়েছিল। এই বাদুড়ের নাকের উপরটা ঘোড়ার খুরের আকৃতির বলে এদের হর্স-শু বাদুড় বলা হয়। তখন ওই গবেষকরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, একই ধরনের একটা রোগ আবার আসতে পারে এবং তাদের কথাই এখন সত্যি হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যেটা বলার চেষ্টা করছেন সেটা হলো, এই রোগ ছড়ানোর জন্য পুরো দায় বাদুড় বা অন্য কোন প্রজাতির প্রাণীর ওপর চাপানোটা ঠিক নয়। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, কোভিড মহামারির পর সেটা মূল্যায়ন করা এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বলছেন ড. রোশা। তিনি বলছেন স্বাস্থ্যসম্মত একটা পরিবেশগত ভারসাম্য তৈরি করতে এবং মানুষের ভালোর জন্য পৃথিবীতে বাদুড়ের প্রয়োজন আছে। ভাইরাসের বাহক বলে তাদের নির্মূল করাটা মানবজাতির জন্য সঠিক হবে না। ফসলের ক্ষতি করে এমন পতঙ্গের শত্রু হলো বাদুড়। তারা উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে বহু প্রজাতির গাছের পরাগায়ন করে, যা ফসল ফলানোর জন্য জরুরি। বিশেষ করে ফলের গাছের বাদুড় পরাগায়ন না করলে সেসব গাছে ফল ধরবে না। এছাড়াও জঙ্গলে অনেক গাছের বীজ বাদুড় ছড়ায়, যা জঙ্গলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আবশ্যিক। প্রাকৃতিক নিয়মে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে হলে বাদুড়ের প্রয়োজন। মেক্সিকোর একটা চুনাপাথরের গুহা থেকে বাদুড় বেরচ্ছে ব্রিটেনে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডেভিড রবার্টসনও বলছেন, প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের জন্য শুধু বাদুড়কে দায়ী করে তাদের নিধনের কথা ভাবলে সেটা \"নিতান্তই দু:খজনক পরিণতি\" ডেকে আনবে। তিনি বলছেন পশুপাখির বাসভূমি মানুষ যাতে ধ্বংস না করে, তাদের কাছাকাছি আসার পথগুলো যদি মানুষ বন্ধ করে তবেই এধরনের সংক্রমণের পথ বন্ধ করা সম্ভব হবে। বাদুড় তার শরীরে এধরনের ভাইরাস বহন করছে বহু যুগ ধরে। তিনি বলছেন সার্স-কোভ-টু-র ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে রয়েছে অনেক দশক ধরে, এবং সবসময়ই এই ভাইরাসের অন্য প্রাণীকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু সম্প্রতি মানুষ যেহেতু প্রাণীর কাছাকাছি আসছে বেশি বা তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট করে দিচ্ছে তাই মানুষের জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর পর পেরু, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাদুড় নিধন অভিযান হয়েছে। কোথাও কোথাও বাদুড় মারার চেষ্টা হয়েছে, কোথাও কোথাও অনেক বাদুড় মেরে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মহামারির মধ্যে বাদুড় মারার অভিযানে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং বাদুড়ের মধ্যে ভাইরাস থাকলে এসব অভিযানের মাধ্যমে তা পরিস্থিতি আরও বিপদজনক করে তুলতে পারে। উষ্ণমণ্ডলে ফলের গাছের বাদুড় তাদের শরীরের ভেতর অনেক সময় গাছের বীজ বহন করে এবং তা অনেক দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয় ''সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক প্রজাতির বাদুড় এখন বিপন্ন এবং নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবার ঝুঁকিতে রয়েছে। কাজেই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ এখন তাদের মারতে শুরু করলে পরিবেশের বন্ধু হিসাবে তারা যে কাজগুলো করে সেগুলো পুরো হারিয়ে যাবে, যেটা মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হবে না,'' বলছেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাগলাস ম্যাকফারলেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাদুড় আর মানুষ সহাবস্থান করেছে। পর্তুগালের কয়ম্ব্রা শহরের ১৮শ শতাব্দীতে তৈরি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে বাদুড় বাস করছে। তারা লাইব্রেরির পোকামাকড় খেয়ে বাঁচে। তারা যদি ওসব পোকা না খেত, লাইব্রেরির বহু প্রাচীন পুঁথি ও পাণ্ডুলিপি পোকায় খেয়ে শেষ করে দিতো। সন্ধ্যাবেলা যদি সেখানে যান, দেখবেন লাইব্রেরির জানালা দিয়ে বাদুড় বাইরে বেরিয়ে আসছে এবং পাথুরে রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নেমে আসছে। রিকার্ডো রোশা বলছেন আমাদের মনে রাখতে হবে জটিল প্রাণী চক্রের সঙ্গে বাদুড়ও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তাদেরও ভূমিকা আছে। \"আমরা যদি সেই প্রাকৃতিক নিয়মকে উপেক্ষা করে তাকে অসুস্থ করে তুলি, তার মূল্য দিতে আমাদের অসুস্থ হতে হবে,\" তিনি বলছেন ইতিহাসের এই কঠিন সময়ে মহামারির এই বিপর্যয় থেকে আমাদের এখন এটা ভাবার সময় এসেছে।", "doc2": "Les chauves-souris sont présentes sur Terre depuis plus de 50 millions d'années Muni d'un masque, d'une salopette et de trois couches de gants, il s'engouffre dans l'obscurité, descend les échelles à l'aide d'une corde et se faufile dans les étroites chambres des grottes. L'odeur caractéristique des chauves-souris est partout, leurs excréments déposés en couches sur le sol, comme si elles pataugeaient dans la neige fraîche. Il arrive qu'une chauve-souris soit effrayée pendant son sommeil, ses ailes frôlant le sol alors qu'elle prend son envol. Dans cette partie du Zimbabwe, les gens appellent les chauves-souris des \"dragons ailés\", des \"rats volants\" ou tout simplement les \"méchants\". Comme partout ailleurs dans le monde, les mammifères volants sont très mal compris. Pour cet écologiste de la vie sauvage, ce sont des créatures magnifiques et incroyables. \"Ils sont fascinants\", dit-il. \"Les gens ont peur des choses qu'ils ne connaissent pas.\" Les grottes abritent des colonies de petites chauves-souris Le Dr Bourgarel est chasseur de virus pour l'institut de recherche français, le Cirad. En collaboration avec des collègues de l'université du Zimbabwe, il se rend dans les grottes des chauves-souris pour y recueillir des échantillons et des fientes de chauves-souris. De retour au laboratoire, les scientifiques extraient et séquencent le matériel génétique des virus des chauves-souris. Ils ont déjà découvert différents coronavirus, dont un de la même famille que le Sars et le Sars-CoV-2. La faune en \"déclin catastrophique\"'', prévient un rapport L'interdiction des emballages en plastique \"pourrait nuire à l'environnement\" Risque d'extinction \"réel et imminent\" pour les baleines Cette recherche fait partie d'un effort mondial visant à étudier la diversité et la composition génétique des virus dont les chauves-souris sont porteuses, fournissant ainsi les outils nécessaires pour réagir rapidement si des personnes commençaient à tomber malades. \"La population locale se rend fréquemment dans l'habitat de ces chauves-souris, afin de collecter du guano qu'elle utilise comme engrais pour ses cultures. Il est donc essentiel de connaître les agents pathogènes transportés par les chauves-souris, car ils pourraient être transmis à l'homme\", explique le Dr Elizabeth Gori de l'Université du Zimbabwe. Les scientifiques portent un équipement de protection individuelle complet pour entrer dans les grottes Les experts en chauves-souris ont lancé une campagne, \"Don't Blame Bats\", pour dissiper les craintes et les mythes non fondés concernant les chauves-souris, qui menacent leur conservation. Selon eux, les chauves-souris sont parmi les animaux les plus incompris et les plus sous-estimés de la planète. Longtemps la cible du mépris, de la persécution et des préjugés culturels, elles ont été rendues responsables d'une foule de maux infligés aux humains. Et les craintes et les mythes concernant les chauves-souris n'ont fait que s'intensifier à l'époque du Covid. Faits sur les chauves-souris Source: Bat Conservation International Regarder aussi : Un étudiant ''découvre'' des selfies de singe sur un téléphone L'origine précise du virus qui a fait tant de ravages dans le monde n'a pas été déterminée. Mais la grande majorité des scientifiques s'accordent à dire qu'il est passé chez l'homme à partir d'une espèce animale, très probablement une chauve-souris. Cela ne veut pas dire que les chauves-souris sont à blâmer ; c'est notre interférence croissante avec ces créatures sauvages qui est à l'origine du problème. La plupart des épidémies de maladies émergentes peuvent être liées à la destruction de la nature par l'homme. Lorsque les forêts ou les prairies sont rasées pour faire paître le bétail, pour cultiver du soja ou pour construire des routes et des habitations, les animaux sauvages sont forcés de se rapprocher de plus en plus des humains et du bétail, ce qui donne aux virus la possibilité de sauter du navire. \"Il est indéniable que les chauves-souris, comme de nombreux autres groupes d'animaux, présentent des risques réels en tant qu'hôtes de maladies potentiellement dangereuses\", déclare Ricardo Rocha de l'université de Porto, au Portugal. Mais il souligne que si l'on tient compte du nombre d'espèces de chauves-souris (1 400 ou plus), le nombre de virus infectant l'homme est similaire à celui d'autres groupes, tels que les oiseaux, les animaux domestiques et les rongeurs. Depuis 2000, Bornéo a perdu 20 000 miles carrés de forêt Les scientifiques estiment que trois maladies infectieuses nouvelles ou émergentes sur quatre chez l'homme proviennent des animaux. Un avertissement des dangers est apparu en 2002, lorsque la mystérieuse maladie, le Sars, a fait son apparition en Chine, tuant près de 800 personnes dans le monde. En 2017, les chercheurs ont identifié une colonie de chauves-souris en fer à cheval vivant dans des grottes isolées de la province du Yunnan qui abritaient des fragments génétiques du virus Sars humain. Ils ont alors averti qu'une maladie similaire pourrait réapparaître, et ils ont eu raison. Mais plutôt que de blâmer une espèce ou une autre, nous devons réévaluer notre relation avec le monde naturel, dit le Dr Rocha. Il souligne que les chauves-souris sont vitales pour la santé des écosystèmes et le bien-être de l'homme. Les chauves-souris suppriment les insectes qui pullulent au-dessus des cultures. Les plantes des tropiques dépendent d'elles pour la pollinisation, notamment le cacao, la vanille et les fruits du durian. Et elles dispersent les graines des arbres qui se trouvent dans les forêts tropicales, contribuant ainsi à la lutte contre le changement climatique. Des chauves-souris sortent d'une grotte calcaire au Mexique Ce serait un \"terrible résultat\" si les chauves-souris étaient diabolisées, car la propagation des maladies des animaux aux humains est bien plus liée à l'empiètement de l'homme sur son domaine que l'inverse, déclare le Dr David Robertson de l'université de Glasgow. Les antécédents du Sars-CoV-2 ont probablement circulé chez les chauves-souris pendant des décennies, dit-il, avec la capacité d'infecter d'autres espèces animales également. Il a été noté des cas isolés de réactions hostiles aux chauves-souris liées au Covid, y compris des mises à mort ou des intentions de mise à mort au Pérou, en Inde, en Australie, en Chine et en Indonésie. Les scientifiques avertissent que quelques actions malavisées pourraient avoir de graves conséquences pour les espèces de chauves-souris vulnérables et même augmenter le risque de propagation de la maladie. Certaines chauves-souris frugivores tropicales portent des graines à l'intérieur d'elles, les transportant au loin \"Une préoccupation majeure est que de nombreuses espèces de chauves-souris sont menacées d'extinction, de sorte que même de petits cas de violence malavisée pourraient causer des dommages irréversibles et avoir des effets catastrophiques sur les écosystèmes dont l'homme dépend\", déclare Douglas MacFarlane de l'Université de Cambridge. Les chauves-souris ont vécu aux côtés des humains pendant des siècles, pour le bien de tous. Dans la ville universitaire de Coimbra, au Portugal, les chauves-souris occupent depuis plus de 300 ans une bibliothèque du XVIIIe siècle, se régalant d'insectes qui pourraient autrement détruire les manuscrits. Visitez la bibliothèque à la tombée de la nuit et vous pourriez les voir sortir par les fenêtres et descendre en piqué dans les rues pavées escarpées. Selon Ricardo Rocha, nous devons nous rappeler que les chauves-souris font partie intégrante des réseaux naturels complexes qui maintiennent les écosystèmes en bonne santé. \"S'il y a un message important à retenir de ce malheureux moment de l'histoire, c'est que rendre la nature malade nous rend malades\", dit-il. A regarder aussi : Faire face à la pollution en période de pandémie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55241639", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55186731", "doc1": "জো বাইডেন তিনি বলেন, তার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম মাসগুলোতে হয়তো মহামারি শেষ হয়ে যাবে না, কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের গতিপথ পরিবর্তন করে দেবেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক দলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ারপর পুরো আমেরিকা যেন \"১০০ দিনের জন্য মাস্কে মোড়া থাকবে।\" মঙ্গলবারের একটি রিপোর্টের পর ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন এবং আমেরিকানদের জন্য সরবরাহের পথ সূচিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যে হোয়াইট হাউসে কোভিড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচী, যেটি অপারেশন ওয়ার্প স্পিড নামে পরিচিত সেটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ পাওয়া গেছে এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ মারা গেছে। দুই ক্ষেত্রে যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। দেশটির অনেক এলাকাই এখন সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় আছে, অনেক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষের ভ্রমণকেই এর জন্য দায়ী করছেন। বাইডেন কী বলেছেন? প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডেলাওয়ারে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেসেরাকে তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং রোশেল ওয়ালেনস্কিকে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দেন। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকাতেই সংক্রমণের পিক চলছে মি. বাইডেন বলেন, \"আমার প্রথম ১০০ দিনে কোভিড-১৯ ভাইরাস শেষ হয়ে যাবে না। সেটা আমি ওয়াদা করতে পারবো না। আমরা হঠাৎ করেই এই বিপদে জড়াইনি আর তাই হঠাৎ করেই উঠেও আসা যাবে না।\" তিনি বলেন, প্রথম ১০০ দিনে আমরা রোগের গতিপথ বদলে দিতে পারি এবং আরো ভাল কিছুর জন্য আমেরিকার জীবন পাল্টে দিতে পারি। তিনি সতর্ক করে বলেন যে,কংগ্রেস যদি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সমাপ্তি টেনে জরুরি ভিত্তিতে তহবিলের ব্যবস্থা না করে তাহলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সব প্রচেষ্টা \"মন্থর আর আটকে\" যেতে পারে। তিনি বলেন, শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে নেয়াটাও অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই ভ্যাকসিন কর্মসূচী কেমন হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত তেমন কিছু জানাননি মি. বাইডেন। গত সপ্তাহে তিনি অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতা ছাড়ার বিষয়ে তার কাছে কোন পরিকল্পনা তুলে ধরেননি ট্রাম্প প্রশাসন। অপারেশন ওয়ার্প স্পিড নামে ভ্যাকসিন কর্মসূচীর প্রধান বিজ্ঞানী মনসেফ স্লাউই এখনও বাইডেন টিমের সাথে দেখা করেননি। তবে এ সপ্তাহে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মি. বাইডেনের অন্যান্য উপদেষ্টাদের মধ্যে ডা. অ্যান্থনি ফাউচি হচ্ছে প্রধান কোভিড মেডিকেল উপদেষ্টা। হোয়াইট হাউসে কী ঘটেছে? আমেরিকার জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার কারণে অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের একটি উদযাপন অনুষ্ঠান ছিল এটি। যদি এই কর্মসূচীর মূল কাজ চলবে জো বাইডেনের শাসনামলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকার অনুমোদন সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন: \"তারা বলছে যে এটা অলৌকিক ঘটনা আর আমারও সেটাই মনে হচ্ছে।\" তিনি আরো বলেন, \"প্রতিটি আমেরিকান ভ��যাকসিন পেতে চায় এবং আমরা মনে করি বসন্ত নাগাদ আমরা এমন একটি অবস্থানে থাকবো যেটা হয়তো কিছুদিন আগ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাসও করতে পারেনি।\" জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ২৪ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার যাবে বলে আশা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন যা আমেরিকানরাই যাতে প্রথমে ভ্যাকসিন পায় সেটা নিশ্চিত করবে। একে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি অনুযায়ী পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা কিনতে ফাইজার/বায়োএনটেকের সাথে চুক্তি করেছে মি. ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু ফাইজার বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন এর চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব কয়েকবার নাকচ করে দেয়া হয়েছে এবং জুনের আগ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়নের বেশি ডোজও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য প্রথম দেশ হিসেবে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করে। ভ্যাকসিন নিয়ে কোন অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র? মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৯৫% পর্যন্ত কার্যকর। তার মানে এটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ভ্যাকসিনটির অনুমোদন রুখে দেয়ার মতো কোন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি পায়নি এবং এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে। যদিও পূর্ণ সুরক্ষা পেতে দুটি ডোজ দরকার হবে তবুও একটি ডোজ নিলেও ঝুঁকির ক্ষেত্রে অন্তত ৮৯% সুরক্ষা পাওয়া যাবে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে লাল দানা বা র‍্যাশ, ইনজেকশন দেয়ার জায়গায় জ্বালাপোড়া, সাময়িক ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, এবং পেশী ব্যথা হতে পারে। তবে এগুলো গুরুতর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ফার্ম মডার্নাও বলেছে যে তাদের ভ্যাকসিনও একই রকম সুরক্ষা দেবে এবং বড়দিনের আগেই এফডিএ এর অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।", "doc2": "Joe Biden avec un masque le 17 novembre dernier Dans une déclaration à CNN, il dit être persuadé qu'il y aurait une \"réduction significative\" des cas de Covid-19 si chaque Américain portait un masque. M. Biden annonce également qu'il ordonnera le port du masques dans tous les bâtiments du gouvernement. Lire plus : Les États-Unis ont enregistré 14,1 millions de cas et 276 000 décès dus à la Covid-19 - le nombre le plus élevé de tous les pays du monde. M. Biden se prépare à prendre ses fonctions alors que les géants pharmaceutiques sont sur le point d'expédier des millions de doses de vaccins contre le coronavirus au public américain. Mercredi, le Royaume-Uni est devenu le premier pays au monde à approuver le vaccin de Pfizer. Coronavirus : l'artémisia, un remède controversé Qu'a dit Biden à propos des masques ? Dans sa première interview commune avec la vice-présidente élue Kamala Harris depuis l'élection, M. Biden a déclaré : \"Le premier jour, je suis obligé de dire que je vais demander au public de porter un masque pendant 100 jours. Juste pour 100 jours, pas pour toujours. Cent jours. \"Et je pense que nous assisterons à une réduction significative si cela se produit, si cela se produit avec les vaccins et les masques pour faire baisser les chiffres de manière considérable.\" Les 100 premiers jours d'une nouvelle présidence sont symboliquement importants aux États-Unis et sont considérés comme un indicateur de la manière dont un président fera avancer les choses. Les experts constitutionnels affirment qu'un président américain n'a pas le pouvoir légal d'ordonner aux Américains de porter des masques, mais M. Biden a déclaré au cours de l'entretien que lui et sa vice-présidente Kamala Harris donneraient l'exemple en se couvrant le visage. La vérité du fossoyeur - Covid-19 frappe la Somalie Le pouvoir exécutif du président couvre effectivement les biens du gouvernement américain, et M. Biden a déclaré à CNN qu'il avait l'intention d'exercer un tel pouvoir. \"Je vais émettre un ordre permanent stipulant que dans les bâtiments fédéraux, vous devez être masqués\". \"Les transports, dans les transports inter-États, vous devez être masqués, les avions et les bus, etc.\", ajoute-t-il. Les compagnies aériennes américaines, les aéroports et la plupart des systèmes de transport public exigent déjà que tous les passagers et les travailleurs portent des masques. La Maison Blanche sous Trump a rejeté les appels des experts américains en matière de santé pour rendre obligatoire le port du masques dans les transports, les jugeant \"trop restrictifs\". Plus sur le Coronavirus : Qu'a dit Biden à propos du vaccin ? Le président démocrate élu a déclaré qu'il serait \"heureux\" de prendre un vaccin en public pour dissiper toute inquiétude quant à sa sécurité. Trois anciens présidents - Barack Obama, George W Bush et Bill Clinton - se disent également prêts à se faire vacciner publiquement pour montrer que le vaccin est sûr. \"Les gens ont perdu confiance dans l'efficacité du vaccin\", constate M. Biden, ajoutant que \"ce que font un président et un vice-président est important\". f La vice-présidente élue de M. Biden, Mme Harris, qui l'a rejoint lors de l'interview sur CNN, a reçu des critiques de la part des républicains en septembre après avoir déclaré qu'elle ne ferait pas confiance à la parole de M. Trump sur un éventuel vaccin et que l'évaluation des experts en santé publique serait \"supprimée\" sous son administration. Le Centre de recherche Pew affirme que seulement 60% des Américains sont actuellement prêts à prendre un vaccin contre le coronavirus, contre 51% qui ont dit la même chose en septembre. Pfizer, qui affirme que son vaccin est efficace à 95 % dans les essais cliniques, et Moderna, qui affirme que le sien est efficace à 94 %, ont tous deux demandé à la Food and Drug Administration de distribuer leurs médicaments aux États-Unis. #LaVieAvecLeCorona ou comment la pandémie met à l'épreuve nos capacités d'adaptation. Dans l'interview accordée à CNN, M. Biden révèle qu'il conservera le Dr Anthony Fauci, le plus grand expert américain en maladies infectieuses, comme conseiller médical en chef de l'équipe Covid-19 de la nouvelle administration \"Lorsque le Dr Fauci dira que nous avons un vaccin sûr, c'est le moment où je me présenterai devant le public pour l'annoncer\", dit M. Biden. Plus tôt dans la journée de jeudi, le Dr Fauci s'est excusé dans une interview à la BBC pour les remarques critiques qu'il a faites au sujet du processus d'approbation des vaccins au Royaume-Uni. \"Je ne voulais pas laisser entendre qu'il y avait eu du laisser-aller, même si c'est ce qui s'est passé\", dit-il. Lire aussi : Un jour plus tôt, le Dr Fauci avait déclaré à des réseaux américains que les régulateurs britanniques avaient \"précipité\" l'approbation du vaccin. Le nouveau président a également mentionné la position du Dr Fauci selon laquelle \"vous n'avez pas besoin de fermer l'économie\" si les Américains suivent d'autres mesures de sécurité pour arrêter la propagation du virus. Il s'est exprimé alors que le gouverneur démocrate de Californie, Gavin Newsom, a émis un ordre de rester chez soi pour une grande partie de son État. Mercredi, le maire de Los Angeles, Eric Garcetti, a émis un ordre limitant tous les déplacements publics à pied ou en véhicule, ajoutant : \"il est temps de tout annuler\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56629179", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-56678307", "doc1": "মারওয়া এলসলেহডার মিশরের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন সুয়েজ খালে জাপানী মালিকানার বিশাল এক জাহাজ আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ায় মালবাহী জাহাজ চলাচলে বিরাট অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ২৩শে মার্চ বিশ হাজার কন্টেইনার ভর্তি এভার গিভেন নামের বিশাল জাহাজটির মাথা সুয়েজ খালের তীরে বালিতে আটকে যায়। এরপর লোহিত সাগরে ২০০র বেশি জাহাজের বিশাল জট তৈরি হয়, এবং অনেক জাহাজ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়। কয়েকদিনের জন্য থমকে যায় জাহাজ চলাচল। কিন্তু মিজ এলসেলেহদার তার মোবাইল ফোনে দেখতে পান, তাকে এজন্য দায়ী করে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। \"আমি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যাই\", বলছিলেন ২৯ বছর বয়সী মারওয়া। তিনি মিশরের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন। সেই সময়ে মিজ এলসলেহডার মিশরের মেরিটাইম সেফটি কর্তৃপক্ষের আইডা ফোর নামে জাহাজে ফার্স্ট মেট হিসেবে কাজ করছেন। ঘটনার সময় জাহাজটি ছিল সুয়েজ খাল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়ায়। জাহাজটি মিশরের সমুদ্র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন। এটি লোহিত সাগরে একটি বাতিঘরের জন্য সরবরাহ পৌঁছে দেবার কাজ করে। এছাড়া আরব লীগ পরিচালিত আরব অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টের নবীন ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হয়। আরো পড়তে পারেন: সুয়েজ খালের বিকল্প নিয়ে ফের কথা, আলোচনায় ইসরায়েল রুট সুয়েজ আটকানো জাহাজের ভারতীয় নাবিকরা কি কড়া শাস্তির মুখে? সুয়েজ খালে জাহাজটি ভেসেছে, কিন্তু কতটা মূল্য দিতে হলো সুয়েজ খালের দানব জাহাজটিকে যেভাবে সরানো হলো ঘটনার সময় মারওয়া এলসেলেহদারের জাহাজ কয়েক শত মাইল দূরে ছিল এই জটিলতায় মিজ এলসেলেহদারের নাম এলো কোথা থেকে? যে খবরটির মাধ্যমে সুয়েজ খালের অচলাবস্থার সাথে মারওয়া এলসেলেহদারের জড়িত বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সেটি একটি ভুয়া বা অসত্য সংবাদ নিবন্ধ। মূলত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভুয়া এক সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশটে ওই অচলাবস্থার জন্য মিজ এলসেলেহদারকে দায়ী করা হয়। আর তারই কল্যাণে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতই। ভুয়া যে সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, সেটি আরব নিউজে প্রকাশিত কোন প্রতিবেদন। ওই খবরে প্রকাশিত বানানো বা ডক্টরড ছবিটি নেয়া হয়েছে আরব নিউজে ২২শে মার্চ প্রকাশিত এক আসল খবর থেকে। সেখানে মিশরের প্রথম নারী জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে মিজ এলসেলেহদারের ওপর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। টুইটারে সেই ছবি বহুবার শেয়ার করা হয়েছে। এমনকি টুইটারে মারওয়া এলসেলেহদারের নামে থাকা অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট থেকেও ওই ভুয়া খবর ছড়ানো হয় যে তিনি এভার গিভেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিবিসিকে মিজ এলসেলেহদার বলেছেন, তার কোন ধারণাই নেই কে কোথা থেকে আর কেন এই ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজ নিয়ে কেন গোটা বিশ্বের মাথাব্যথা তিনি বলেন, \"আমার মনে হয় আমি এই খাতে একজন সফল নারী, সেজন্য আমাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। অথবা হয়তো আমি একজন মিশরীয় সেজন্যও হতে পারে, কিন্তু আমি নিশ্চিত না কেন এমনটা হয়েছে।\" তবে তিনি সুয়েজ খালের ওই জটিলতায় কোনভাবে যুক্ত ছিলেন না। ঘটনার সময় তার জাহাজ ছিল সুয়েজ খাল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়ায়। তবে কাজ করতে গিয়ে এবারই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন এমন নয়। তিনি এক ক্ষেত্রে তিনি কাজ করছেন, যা ঐতিহাসিকভাবে পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের হিসাব অনুযায়ী এই মূহুর্তে বিশ্বের সমুদ্রযানগুলোতে মাত্র দুই শতাংশ নারী কাজ করছেন। মারওয়া এলসেলেহদার ২০১৫ সাল থেকে আইডা ফোর জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করছেন। নিয়োগের সময় তিনি ছিলেন সবচাইতে কমবয়সী এবং প্রথম নারী মিশরীয় ক্যাপ্টেন। এমনকি তিনি যখন আরব লীগের বিশ্ববিদ্যালয় আরব অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টে ভর্তির আবেদন করেন, তখনও সেখানে মেয়েদের পড়ার অনুমতি ছিল না। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবার পর তৎকালীন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের অনুমোদনে তিনি অ্যাকাডেমিতে পড়ার সুযোগ পান। ফলে যখন সুয়েজ খালে অচলাবস্থার জন্য তাকে দায়ী করা হলো, তখন তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। কারণ এটি তার কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, \"ভুয়া খবরটি ছিল ইংরেজিতে প্রকাশিত, যে কারণে এটা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমি খুব চেষ্টা করছি ওই নিবন্ধে কী আছে তা না ভাবার। কারণ এর ফলে আমার সুনামের ওপর প্রভাব পড়ছিল। এবং আমি জানি আমার বহু চেষ্টার ফল হিসেবেই আমি আজকের জায়গায় এসেছি।\" তিনি বলছিলেন, নিবন্ধে তার সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক এবং রূঢ় মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যও পেয়েছেন। \"যত সমর্থন আর ভালোবাসা আমি পেয়েছি আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার ওপরই নজর দেব। সে জন্য��� আমার সব ক্ষোভ এখন কৃতজ্ঞতায় রূপ নিয়েছে।\" সামনের মাসেই মারওয়া এলসেলেহদারের ফাইনাল পরীক্ষা, যা পাস করার পর তিনি ফুল র‍্যাঙ্ক ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করতে পারবেন।", "doc2": "Marwa Elselehdar est la première égyptienne capitaine de navire La nouvelle est tombée : un énorme porte-conteneurs, l'Ever Given, s'est coincé dans le canal de Suez, bloquant ainsi l'une des principales routes maritimes du monde. Mais alors qu'elle vérifiait son téléphone, des rumeurs en ligne disaient qu'elle en était responsable. \"J'ai été choquée\", raconte Mme Elselehdar, première femme capitaine de navire en Égypte. Au moment du blocage de Suez, elle travaillait en tant que second, aux commandes de l'Aida IV, à des centaines de kilomètres de là, à Alexandrie. Ce navire, qui appartient à l'autorité égyptienne chargée de la sécurité maritime, effectue des missions d'approvisionnement auprès d'un phare de la mer Rouge. Il est également utilisé pour former les cadets de l'Académie arabe pour la science, la technologie et le transport maritime (AASTMT), une université régionale gérée par la Ligue arabe. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Les rumeurs concernant le rôle de Mme Elselehdar sur le Ever Given ont été largement alimentées par des captures d'écran d'un faux titre d'actualité - prétendument publié par Arab News - qui affirmait qu'elle était impliquée dans l'incident de Suez. L'image falsifiée semble être tirée d'un article authentique d'Arab News, publié le 22 mars, qui décrit son succès en tant que première femme capitaine de navire en Égypte. L'image a été partagée des dizaines de fois sur Twitter et Facebook. Plusieurs comptes Twitter à son nom ont également diffusé de fausses allégations selon lesquelles elle était impliquée dans l'affaire Ever Given. Mme Elselehdar, 29 ans, a déclaré à la BBC qu'elle n'avait aucune idée de l'identité de la première personne à avoir diffusé cette histoire, ni de la raison pour laquelle elle l'avait fait. \"J'ai eu l'impression d'être ciblée, peut-être parce que je suis une femme qui a réussi dans ce domaine ou parce que je suis égyptienne, mais je ne suis pas sûre\", a-t-elle déclaré. Ce n'est pas la première fois qu'elle est confrontée à des difficultés dans un secteur historiquement dominé par les hommes. À l'heure actuelle, les femmes ne représentent que 2 % des équipages de navires dans le monde, selon l'Organisation maritime internationale. Marwa Elselehdar se dit encouragée par les réactions qu'elle a reçues suite aux fausses rumeurs. Mme Elselehdar dit qu'elle a toujours aimé la mer et qu'elle a eu envie de rejoindre la marine marchande après que son frère s'est inscrit à l'AASTMT. Bien que l'académie n'acceptait que les hommes à l'époque, elle s'est quand même inscrite et a obtenu l'autorisation de s'engager après un examen juridique effectué par Hosni Moubarak, alors président de l'Égypte. Pendant ses études, elle dit avoir été confrontée au sexisme à tout bout de champ. \"À bord, il n'y avait que des hommes plus âgés avec des mentalités différentes, donc c'était difficile de ne pas pouvoir trouver des personnes partageant les mêmes idées avec lesquelles communiquer\", dit-elle. \"C'était un défi de traverser cette épreuve seule et de pouvoir la surmonter sans que cela affecte ma santé mentale\". \"Les gens dans notre société n'acceptent toujours pas l'idée que des filles travaillent en mer loin de leur famille pendant une longue période\", ajoute-t-elle. \"Mais quand on fait ce qu'on aime, il n'est pas nécessaire de chercher l'approbation de tout le monde\". Après avoir obtenu son diplôme, Mme Elselehdar a accédé au rang de second et a été capitaine de l'Aida IV lorsqu'il est devenu le premier navire à naviguer sur le canal de Suez nouvellement élargi en 2015. À l'époque, elle était la plus jeune et la première femme capitaine égyptienne à traverser la voie navigable. En 2017, elle a également été honorée par le président Abdel Fattah El-Sisi lors des célébrations de la journée de la femme en Égypte. Lire aussi : Lorsque des rumeurs ont émergé sur son rôle dans le blocage de Suez, elle a craint l'impact que cela aurait sur son travail. \"Ce faux article était en anglais et s'est donc propagé dans d'autres pays\", explique Mme Elselehdar. \"J'ai fait tout mon possible pour nier le contenu de l'article, car il portait atteinte à ma réputation et à tous les efforts que j'ai déployés pour arriver là où je suis aujourd'hui.\" Mais elle dit se sentir encouragée par certaines des réactions. \"Les commentaires sur l'article étaient très négatifs et durs, mais il y avait tellement d'autres commentaires de soutien de gens ordinaires et de personnes avec qui je travaille\", dit-elle. \"J'ai décidé de me concentrer sur tout le soutien et l'amour que je reçois, et ma colère s'est transformée en gratitude.\" \"Il convient également de mentionner que je suis devenue encore plus célèbre qu'avant\", ajoute-t-elle. Le mois prochain, Mme Elselehdar passera son examen final pour atteindre le grade complet de capitaine, et espère pouvoir continuer à être un modèle pour les femmes dans le secteur. \"Mon message aux femmes qui veulent travailler dans le secteur maritime est le suivant : battez-vous pour ce que vous aimez et ne laissez pas la négativité vous affecter\", dit-elle. Reportages supplémentaires de BBC Monitoring et Soha Ibrahim, BBC Arabic."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51635801", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51629640", "doc1": "ভাইরাস ছড়ানোর জন্য যেসব প্রাণীকে সন্দেহ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে প্যাঙ্গোলিন ধরুন, চীনের কোন এলাকায় আকাশে উড়ে বেড়াতে বেড়াতে বাদুড় মলত্যাগ করলো, যা পড়ছে বনের মধ্যে। এখন কোন বন্যপ্রাণী ধরা যাক প্যাঙ্গোলিন, পাতার মধ্যে খাবার অর্থাৎ পতঙ্গের খোঁজে গন্ধ শুকতে শুকতে ঐ বাদুড়ের বিষ্ঠা থেকে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারে। নভেল ভাইরাসটি বন্যপ্রাণীর মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত একটি প্রাণীকে ধরার পর সেটি প্রথম মানুষের মধ্যে আসে, এরপর সেটি যায় পশুপাখি বিক্রি হয় এমন একটি বাজারের কর্মীদের মধ্যে। আর এভাবেই একটি বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এ চক্রটি প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানীরা ভাইরাস আক্রান্ত প্রাণী খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কানিংহ্যাম বলেন, \"কোন ঘটনার ধারাক্রম খুঁজে বের করাটা কিছুটা গোয়েন্দা গল্পের মত।\" এতে কিছু বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বাদুড়ের কয়েকটি প্রজাতি, যারা বিভিন্ন ধরণের করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে তাদেরকে চিহ্নিত করে অনুসন্ধান চালানো হবে। এই 'ছড়িয়ে পড়া' ঘটনাক্রম সম্পর্কে আমরা কতটা জানি? বিজ্ঞানীরা যখন একজন রোগীর শরীর থেকে নতুন ভাইরাসের কোড শনাক্ত করতে সক্ষম হন, তখন থেকেই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য সন্দেহের তীর ছোটে বাদুড়ের দিকে। স্তন্যপায়ী এই প্রাণী দল বেধে থাকে, অনেক দুর পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে, এবং পৃথিবীর সব অংশেই তাদের বিচরণ আছে। তারা প্রায় কখনোই অসুস্থ হয় না, কিন্তু দূর দূরান্ত পর্যন্ত রোগের জীবাণু ছড়ায়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক কেইট জোনস বলেন, বাদুড় দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা রাখে এবং ডিএনএ'র ক্ষতি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও অন্য পাখিদের চেয়ে তারা বেশি সক্ষম এমন কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন \"হয়ত এর মাধ্যমে অনেক ভাইরাসের মধ্যে থেকেও তারা কম অসুস্থ হয়। কিন্তু এটি এখনো পর্যন্ত একটি ধারণামাত্র।\" সন্দেহ নেই বাদুড়ের জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে ভাইরাসের হার বৃদ্ধি ঘটে। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের অধ্যাপক জোনাথন বল বলছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণী হবার কারণে মানুষের মধ্যে সরাসরি অথবা মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কোন প্রাণীর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে বাদুড়। কিন্তু ধাঁধাঁর দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে, কে সেই রহস্যময় প্রাণী যে নিজের শরীরে সেই ভাইরাসকে ডিমে তা দেয়ার মত পুষেছে এবং উহানের সেই বাজারে পৌঁছে দিয়েছে। আর এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন প্রাণীটি হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন। বলা হয় পিপড়া খেকো, শক্ত আঁশযুক্ত এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণী, এবং প্রায় বিলুপ্তির পথে। সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় চীনে বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ তৈরিতে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ব্যবহার হয় বলে এশিয়া জুড়ে এর কদর। তাছাড়া অনেকেই প্যাঙ্গোলিনের মাংস খেতে পছন্দ করে। প্যাঙ্গোলিনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, এবং যে ধরণের নমুনা পাওয়া গেছে তার সঙ্গে নভেল হিউম্যান ভাইরাসের খুবই মিল রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন। তাহলে এমন কি হতে পারে যে মানুষের মধ্যে ছড়ানোর আগে বাদুড়ের ভাইরাস এবং প্যাঙ্গোলিনের ভাইরাস পরস্পরের মধ্যে জেনেটিক্স বিনিময় করেছে? বিশেষজ্ঞরা এখুনি কোন উপসংহারে পৌছুতে রাজি নন। এছাড়া প্যাঙ্গোলিনের ওপর করা গবেষণার ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি, কারণ সেগুলো যাচাই করা প্রায় অসম্ভব। উটের মত প্রাণীও নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে অধ্যাপক কানিংহ্যাম বলছেন, কত প্যাঙ্গোলিনের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এখানে। কারণ গবেষণার জন্য কি একাধিক বুনো প্যাঙ্গোলিনকে পরীক্ষা করা হয়েছে, নাকি, বন্দি থাকা পোষা প্যাঙ্গোলিনের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্যাঙ্গোলিন এবং অন্যান্য বুনো জানোয়ার, বিশেষ করে বাদুড়, চীনের মাংসের বাজারে নিয়মিত বিক্রি হয়। যে কারণে এক প্রাণী থেকে দ্রুত আরেক প্রাণীর মধ্যে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব, যা পরবর্তীতে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে উহানের সেই বাজারটি বন্ধ আছে। সেখানে বন্য প্রাণী বিক���রির একটি আলাদা সেকশন রয়েছে, যেখানে জীবিত ও জবাই করা প্রাণীর মাংস, যেমন উট, কোয়ালা এবং পাখির মাংস বিক্রি হয়। ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বিক্রি হওয়া বাদুড় দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দোকানে জ্যান্ত নেকড়ে কুকুরছানা, সিকাডাস নামে এক জাতের পোকা, বিচ্ছু, কাঠবিড়ালি, ইদুর, শিয়াল, সজারু, কচ্ছপ, গন্ধগোকুল, গুই-সাপ এবং কুমির বিক্রি হয়। যতদূর জানা যাচ্ছে, বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিনের বিক্রি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়নি, কিন্তু চীনে কর্তৃপক্ষকে বের করতে হবে ঐ বাজারে কী কী প্রাণী বিক্রি করা হয়েছে। কারণ অধ্যাপক বল মনে করেন, একবার যদি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাহলে একই ঘটনা পুনরায় ঘটা সম্ভব। \"যে কারণে এটা জানা খুবই জরুরি যে ঠিক কোন প্রাণী থেকে এটা ছড়াচ্ছে।\" বিজ্ঞানীরা মনে সাম্প্রতিক সময়ের অনেকগুলো ভাইরাস ছড়িয়েছে প্রাণী থেকে, যেমন ইবোলা, সার্স ভাইরাস এইচআইভি এবং নতুন করোনাভাইরাস---এর সব কয়টি এসেছে বুনো প্রাণী থেকে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: বিশ্ব-মহামারী কি এখন খুবই সন্নিকটে? করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? এবং যদি ঝুঁকির জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে মানুষ সংক্রামিত হবার আগেই রোগ প্রতিরোধের জন্য শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এদিকে প্রাণী সংরক্ষণবিদেরা পড়েছেন দোটানায়, তারা বলছেন বাদুড়ের মত প্রাণী যেমন ভাইরাসের বাহক আবার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশের জন্য বাদুড় অত্যাবশ্যক একটি প্রাণী। ২০০৩-০৪ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চীনের বাজারে বন্যপ্রাণী বিক্রির ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অচিরেই চীন, ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি শুরু হয়। চীনে আবারো খাবার, পশম বা লোম এবং ওষুধ বানানোর কাজে ব্যবহৃত হয় এমন প্রাণীর বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। ঠিক কোন প্রাণী থেকে আর কিভাবে এ রোগ আক্রমণ করে তার নিখুঁত অনুসন্ধান কতটা সম্ভব হবে আমরা জানি না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরো বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবার আগে এই ভাইরাসের ব্যাপারে সব জেনে নেয়া প্রয়োজন।", "doc2": "Un pangolin victime de braconnage à Kuala Lumpur : l'animal fait partie des suspects dans l'épidémie. Quelque part en Chine, une chauve-souris vole dans le ciel, laissant une trace de coronavirus dans ses excréments, qui tombent au sol, dans la forêt. Un animal sauvage, peut-être un pangolin qui renifle les insectes sur les feuilles, absorbe les excréments contaminés. Le nouveau virus circule dans la faune sauvage. Un animal infecté est finalement capturé, et une personne attrape la maladie d'une manière ou d'une autre, puis la transmet aux travailleurs d'un marché aux animaux sauvages. Une épidémie mondiale est née. Les scientifiques tentent de prouver la véracité de ce scénario alors qu'ils s'efforcent de trouver des animaux sauvages porteurs du virus. Trouver la séquence des événements est \"un peu un polar\", déclare le professeur Andrew Cunningham de la Zoological Society London (ZSL). Une série d'espèces animales sauvages pourrait être l'hôte, dit-il, en particulier les chauves-souris, qui portent un grand nombre de coronavirus différents. A lire aussi Comment le coronavirus affecte l’organisme? Guérison du premier africain contaminé par le coronavirus Des manifestants ukrainiens attaquent un bus de personnes évacuées de la Chine Le coronavirus vu au microscope Que savons-nous donc des \"retombées\", comme on le dit dans le commerce ? Lorsque les scientifiques ont déchiffré le code du nouveau virus, prélevé sur le corps d'un patient, des chauves-souris en Chine ont été impliquées. Ces mammifères se rassemblent en grandes colonies, volent sur de longues distances et sont présents sur tous les continents. Ils tombent rarement malades eux-mêmes, mais ont la possibilité de propager des agents pathogènes sur de grandes distances. Selon le professeur Kate Jones de l'University College London, il est prouvé que les chauves-souris se sont adaptées aux exigences des longs vols et qu'elles réparent mieux les dommages causés à leur ADN. \"Cela pourrait leur permettre de faire face à une charge virale plus importante avant de tomber malade - mais ce n'est qu'une idée pour l'instant\". Il ne fait aucun doute que le comportement des chauves-souris permet aux virus de se développer. La plupart des infections sont en Chine, mais d'autres pays aussi luttent contre le virus \"Si l'on considère leur mode de vie même, elles contractent un large éventail de virus\", déclare le professeur Jonathan Ball de l'université de Nottingham. \"Et comme ce sont des mammifères, il est possible que certains d'entre eux puissent infecter les humains, soit directement, soit par le biais d'une espèce hôte intermédiaire\". La deuxième partie du puzzle est donc l'identité de l'animal mystérieux qui a incubé le virus dans son corps et qui a peut-être fini sur le marché de Wuhan. Le pangolin est l'un des suspects. Ce mammifère écailleux, dont on dit qu'il est le mammifère qui fait l'objet du plus grand trafic au monde, est menacé d'extinction. Les écailles de cet animal sont très recherchées en Asie pour la médecine traditionnelle chinoise, tandis que la viande de pangolin est considérée comme un mets délicat par certains. Des coronavirus ont été découverts dans les pangolins, certains affirmant qu'ils sont proches du nouveau virus humain. Des fonctionnaires saisissent des civettes sur le marché aux animaux sauvages de Xinyuan à Guangzhou pour empêcher la propagation du SRAS Le virus de la chauve-souris et le virus du pangolin auraient-ils pu faire l'objet d'un échange génétique avant de se propager à l'homme ? Les experts sont prudents quant aux conclusions à tirer. Les données complètes de l'étude sur les pangolins n'ont pas été publiées, ce qui rend l'information impossible à vérifier. Selon le professeur Cunningham, la provenance et le nombre de pangolins examinés dans le cadre de cette recherche sont particulièrement importants. \"Par exemple, plusieurs animaux ont-ils été échantillonnés directement dans la nature (auquel cas les résultats seraient plus significatifs), ou un seul animal provenant d'un environnement captif ou d'un marché humide a-t-il été échantillonné (auquel cas les conclusions sur le véritable hôte du virus ne pouvaient pas être solidement établies)\" ? Les pangolins et d'autres espèces sauvages, y compris diverses espèces de chauves-souris, sont souvent vendus sur les marchés d'espèces vivantes, dit-il, ce qui permet aux virus de passer d'une espèce à l'autre. \"Les marchés d'espèces vivantes créent donc des conditions idéales pour la propagation des agents pathogènes d'une espèce à l'autre, y compris à l'homme\". Les chameaux peuvent abriter le nouveau coronavirus, MERS Le marché de Wuhan, qui a été fermé après l'épidémie, comportait une section réservée aux animaux sauvages, où des espèces vivantes et abattues étaient en vente, y compris des parties du corps de chameaux, de koalas et d'oiseaux. Le Guardian rapporte qu'un inventaire d'un magasin répertoriait des bébés loups vivants, des cigales dorées, des scorpions, des rats de bambou, des écureuils, des renards, des civettes, des hérissons (probablement des porcs-épics), des salamandres, des tortues et des crocodiles. À notre connaissance, les chauves-souris et les pangolins n'étaient pas répertoriés, mais les autorités chinoises disposeront de renseignements sur les animaux vendus, explique le professeur Ball. \"Si les retombées se sont produites une fois, vous voulez savoir si ce genre de choses peut se reproduire ou non, car c'est important du point de vue de la santé publique\", dit-il. \"Il faut donc savoir exactement dans quelle espèce animale le virus se trouve et quels sont les risques qui ont provoqué cette contagion\". Bon nombre des virus que nous avons connus ces dernières années ont été transmis par des animaux sauvages. C'est l'histoire du virus Ebola, du VIH, du syndrome respiratoire aigu sévère (Sars) et maintenant du coronavirus. Selon le professeur Jones, l'augmentation des cas de maladies infectieuses provenant de la faune sauvage pourrait être due à notre capacité croissante à les détecter, à la connectivité croissante entre eux ou à l'empiètement accru sur les habitats sauvages, ce qui \"modifie les paysages et met en contact avec de nouveaux virus que la population humaine n'a jamais vus auparavant\". Si nous comprenons les facteurs de risque, nous pouvons prendre des mesures pour éviter que la toute première infection n'ait lieu sans nuire aux animaux sauvages, déclare le professeur Cunningham. Les défenseurs de l'environnement s'efforcent de souligner que si les chauves-souris sont considérées comme porteuses de nombreux virus, elles sont également essentielles au fonctionnement des écosystèmes. Des chauves-souris vendues sur un marché indonésien ce mois-ci \"Les chauves-souris insectivores mangent d'énormes quantités d'insectes tels que les moustiques et les parasites agricoles, tandis que les chauves-souris frugivores pollinisent les arbres et répandent leurs graines\", précise le professeur Cunningham?. \"Il est impératif que ces espèces ne soient pas éliminées par des mesures de \"contrôle des maladies\" malavisées\". Après le SRAS en 2002-2003, causé par un coronavirus très similaire à celui qui émerge actuellement en Chine et au-delà, il y a eu une interdiction temporaire des marchés d'animaux sauvages. Mais les marchés ont rapidement repris en Chine, au Vietnam et dans d'autres parties de l'Asie du Sud-Est. La Chine a de nouveau suspendu l'achat et la vente de produits d'animaux sauvages, qui sont couramment utilisés pour l'alimentation, la fourrure et dans les médecines traditionnelles. Des rapports suggèrent que cela pourrait devenir permanent. Bien que nous ne sachions - et peut-être jamais - exactement comment et où la maladie responsable de nombreux décès a fait le saut chez l'homme, le professeur Diana Bell de l'université d'East Anglia affirme que nous pouvons empêcher une autre \"tempête\". \"Nous rassemblons des animaux de différents pays, de différents habitats, de différents modes de vie - en termes d'animaux aquatiques, d'animaux arboricoles, etc\". Coronavirus : la Chine construit un hôpital en 10 jours"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50711508", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50716656", "doc1": "সান্না ম্যারিন হতে যাচ্ছেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই তিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। মূলত নারীদের নেতৃত্বে থাকা একটি কোয়ালিশন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দেশটির পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী আনত্তি রিনি পদত্যাগের পর সান্না ম্যারিনকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিয়েছে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। নারীদের নেতৃত্বে থাকা পাঁচটি দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি মধ্য-বাম ধারার কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিবেন তিনি। ডাক বিভাগের ধর্মঘট মোকাবেলাকে কেন্দ্র করে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন মিস্টার রিনি। এখন সান্না ম্যারিন যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন তখন তিনি হবে এ মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়েসী প্রধানমন্ত্রী। কমবয়সী সরকার প্রধানদের মধ্যে এ মূ��ুর্তে আছেন নিউজিল্যান্ডের ৩৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এবং ইউক্রেনের ৩৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ওলেকসি হোনচারুক। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে দশটি বই জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাব দিতে হেগের পথে সু চি শিল্পকর্মের লাখ ডলারের কলাটি খেয়ে ফেললেন এক শিল্পী খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে মিস ম্যারিন সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আস্থা পুনর্গঠনে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে\"। তার বয়স নিয়ে প্রশ্ন ছিলো সাংবাদিকদের তরফ থেকে কিন্তু সেটি তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, \"আমি কোনোদিন আমার বয়স বা লিঙ্গ নিয়ে ভাবিনি। আমি যে কারণে রাজনীতিতে এসেছি তা নিয়েই ভেবেছি এবং সে কারণেই আমাকে ভোট নিয়ে নির্বাচিত করেছে মানুষ\"। মিস ম্যারিন হবেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। গত এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে তার দল বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয় আর সে কারণেই তার দল প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিতে পারে যিনি কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিবেন। ফিনিশ ব্রডকাস্টার ওয়াইএলই'র তথ্য অনুযায়ী সান্নে ম্যারিন সিঙ্গেল মায়ের সন্তান। তার পরিবারে তিনিই প্রথম যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ফিনল্যান্ড এ মূহুর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে আছে। আরো খবর: দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাব দিতে হেগের পথে সু চি রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতার মূলে ইয়াবার টাকার ভাগ", "doc2": "\"Je n'ai jamais pensé à mon âge ou à mon sexe\", a déclaré Sanna Marin après son élection Elle prendra la tête d'un gouvernement de coalition dirigé essentiellement par des femmes de centre-gauche issues de cinq partis. Quatre des cinq femmes chefs de parti de la coalition ont moins de 35 ans. L'ancienne ministre des Transports a été choisie par son parti social-démocrate pour prendre les rênes après le départ du Premier ministre Antti Rinne. Elle devrait prêter serment cette semaine. Après son élection, Sanna Marin a déclaré à la presse : \"nous avons beaucoup de travail à faire pour rétablir la confiance\", a-t-elle déclaré aux journalistes.\" Elle a balayé les questions sur son âge en disant: \"je n'ai jamais pensé à mon âge ou à mon sexe. Je pense aux raisons pour lesquelles je me suis lancée en politique et à ces choses pour lesquelles nous avons gagné la confiance de l'électorat\". A lire aussi : La Finlande est le \"pays le plus heureux du monde\" Une femme peut-elle diriger une communauté religieuse en islam? Les échelons de la réussite La mère de Sanna Marin lui a toujours apporté son soutien et lui a toujours répété que rien n'est impossible dans la vie et qu'elle pourrait faire tout ce dont elle rêvait. Elle a été la première personne de sa famille à aller à l'université. Mme Marin a rapidement gravi les échelons des sociaux-démocrates, dirigeant l'administration municipale de Tampere à l'âge de 27 ans et devenant députée en 2015. Elle est ministre des transports et des communications depuis juin."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55112970", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55113761", "doc1": "মোহসেন ফখরিযাদে ছিলেন ইরানের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান ইরানের সবচেয়ে সিনিয়র পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে শুক্রবার তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও, তিনি মারা যান। হাসান রুহানি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ইরানের শত্রুদের গভীর \"ঘৃণা ও হতাশা\" স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে মি.রুহানি \"ইহুদিবাদী শাসকচক্রের রক্তরঞ্জিত অশুভ হাতের\" উপমা দেন - যা সাধারণত: ইসরায়েলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েল এ ব্যাপারে এখনো কোন মন্তব্য করেনি। ‌এর আগে ইরান দেশটির সবচেয়ে সিনিয়র পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের ঘোষণা দেয়। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেঘান বলেছেন, এই হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের ওপর বজ্রের মত 'আঘাত হানা' হবে। ইসরায়েল ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা যে ফখরিযাদে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পেছনে ছিলেন। তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন মি..ফখরিযাদে ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু, ফখরিযাদের নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন। ইরান সবসময়ই বলে আসছে, এই পারমাণবিক কর্মসূচি তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, \"সন্ত্রাসীরা আজ এক বিশিষ্ট ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।\" মি. জারিফও এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করে বলেন, \"ইসরায়েলের এতে জড়িত থাকার গুরুতর ইঙ্গিত\" রয়েছে। জাতিসংঘের ইরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত রাভঞ্চি বলেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা এই অঞ্চলে বিপর্যয় ডেকে আনার জন্য করা হয়েছে। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই হত্যার খবর এলো। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সামর��ক পরমাণু অস্ত্র তৈরি দুটি কাজের জন্যই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ২০১৫ সালে ছয়টি বিশ্বশক্তির সাথে এক চুক্তিতে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের উৎপাদন সীমাবদ্ধ করার কথা বলেছিল। তেহরানের অদূরে দামাভান্দে হামলার দৃশ্য তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তির শর্তগুলোর বরখেলাপ করে আসছিল। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বিরোধিতা সত্ত্বেও জো বাইডেন জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরানের সাথে পুনরায় যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান জন ব্রেনান বলেছেন, ওই বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ড ছিল একইসঙ্গে \"অপরাধমূলক\" এবং \"অত্যন্ত বেপরোয়া\" , যা ওই অঞ্চলে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করেছে। একাধিক টুইটে তিনি বলেছেন, ফখরিযাদের মৃত্যু \"নতুন করে আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব উস্কে দেয়ার পাশাপাশি প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। মি. ব্রেনান আরও বলেন, \"তিনি জানেন না কোনও বিদেশি সরকার ফখরিযাদেকে হত্যার অনুমতি দিয়েছিল কি না।\"। মোহসেন ফখরিযাদের সাথে কী হয়েছিল? শুক্রবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: \"সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফখরিযাদেকে বহনকারী গাড়িকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ফখরিযাদে মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান ছিলেন। \"সন্ত্রাসীদের সাথে তার দেহরক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। পরে মি. ফখরিযাদেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালালেও দুর্ভাগ্যক্রমে ব্যর্থ হন তারা।\" ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে হামলাকারীরা ওই বিজ্ঞানীর গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। ফার্স নিউজ এজেন্সি এর আগে খবর পেয়েছিল যে আবসার্দ শহরে একটি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটেছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যে \"তিন থেকে চারজন ব্যক্তি, যাদেরকে সেখানে সন্ত্রাসী বলা হয়েছে\", তারা মারা যায়\"। ইরান জানিয়েছে, ফকরিযাদেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তিনি মারা যান। কেন তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল? পল অ্যাডামস, কূটনৈতিক সংবাদদাতা, বিবিসি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ফ��রিযাদেহ স্পষ্টতই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। দু'বছর আগে বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছিলেন, \"তার নাম মনে রাখবেন\"। ইরান যখন থেকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা শুরু করে, তখন দেখে দেশটি দ্রুত এগিয়ে যায়। স্বল্প-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ করার পাশাপাশি দেশটি চুক্তির আওতায় অনুমোদিত স্তরের উপরে বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। ইরানি কর্মকর্তারা সবসময় বলেছেন যে এ জাতীয় পদক্ষেপগুলি বিপরীতমুখী, তবে এসব না হলে গবেষণার উন্নয়ন এবং সার্বিক উন্নয়ন কঠিন হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আলী আসগর সোলতানি সম্প্রতি বলেছেন যে, \"আমরা পিছনে যেতে পারি না।\" ইসরায়েলের অভিযোগ অনুযায়ী যদি মোহসেন ফখরিযাদে মূল হোতা হয়ে থাকেন, তবে তার মৃত্যু ইরানের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। এবং এই বাধা তৈরি করতে কারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে সেটাও সামনে আসতে পারে। সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ইরানের সাথে ওয়াশিংটন আবারও চুক্তিতে ফিরে যাবে। তবে এই হত্যাকাণ্ড দেশটির সাথে ভবিষ্যতের যে কোনও আলোচনাকে জটিল করে তোলার উদ্দেশ্যেও হতে পারে। মোহসেন ফখরিযাদে কে ছিলেন? ফখরিযাদে ছিলেন সর্বাধিক খ্যাতিমান ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী এবং অভিজাত ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের সিনিয়র অফিসার। তার ব্যাপারে পশ্চিমা সুরক্ষা সূত্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, ফখরিযাদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সহায়ক একজন ব্যক্তি। ২০১৮ সালে ইসরায়েলের থেকে পাওয়া গোপন নথি অনুসারে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একটি কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে তিনি ফখরিযাদেকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান বিজ্ঞানী বলে মনে করেন এবং তার \"এই নামটি মনে রাখার\" আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে, নিউইয়র্ক টাইমস তাকে তুলনা করেছিলেন জে রবার্ট ওপেনহেইমারের সাথে, এই পদার্থবিজ্ঞানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তৈরি করেছিলেন প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র। পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফখরিযাদে 'আমাদ' প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এটি ছিল ১৯৮৯ স��লে প্রতিষ্ঠিত একটি গোপন কর্মসূচি যেখানে পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা হতো। আরও পড়তে পারেন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইসরায়েল আর ইরানের মধ্যে কি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে? কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? ইরানের ইসফাহানে নাটানজ পারমাণবিক ফ্যাসিলিটির স্যাটেলাইট চিত্র। আইএইএর মতে এটি ২০০৩ সালে বন্ধ করা হয়, যদিও মি. নেতানিয়াহু বলেছেন যে ২০১৮ সালে প্রাপ্ত নথিগুলোতে দেখা গেছে যে ফখরিযাদে গোপনে 'আমাদ' প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আইএইএ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তদন্তের অংশ হিসাবে ফখরিযাদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। ইরান এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে সন্দেহ করা হয়। যার কারণে ২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানির সাথে ইরান ২০১৫ সালে চুক্তি করে যে তারা তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসায় সেটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ মাসের শুরুর দিকে আইএইএ জানিয়েছিল যে চুক্তির আওতায় ইরানকে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমোদন দিয়েছিল তারা সেটার চাইতে ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। এদিকে, জানুয়ারিতে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হন। এরপর থেকে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।", "doc2": "Le lieu de l'attentat à Damavand, près de Téhéran Hassan Rouhani a également déclaré que l'Iran exercerait des représailles pour le meurtre de Mohsen Fakhrizadeh à un moment de son choix. Fakhrizadeh a été tué dans une embuscade tendue à sa voiture par des hommes armés dans la ville d'Absard, à l'est de la capitale Téhéran. Israël n'a pas fait de commentaires, mais il l'a déjà accusé d'être derrière un programme secret d'armes nucléaires. Fakhrizadeh était le scientifique nucléaire le plus renommé d'Iran, qui dirigeait l'organisation de recherche et d'innovation du ministère de la défense. Son assassinat menace d'aggraver les tensions sur le programme nucléaire iranien avec les Etats-Unis et son proche allié Israël. Comment l'Iran a-t-il réagi ? Le président Rouhani a déclaré que son pays répondrait \"en temps voulu\" mais que l'assassinat de Fakhrizadeh ne pousserait pas l'Iran à prendre des décisions hâtives, dans des commentaires télévisés samedi. \"Les ennemis de l'Iran devraient savoir que le peuple iranien et les fonctionnaires sont plus courageux que de laisser cet acte criminel sans réponse\", a-t-il déclaré lors d'une réunion de cabinet télévisée. \"En temps voulu, ils répondront de ce crime\", a-t-il ajouté. Dans une déclaration précédente, le président a accusé les \"mercenaires du régime sioniste oppressif\" - en référence à Israël - d'être derrière l'attaque. Mohsen Fakhrizadeh, sur une photo non datée, était à la tête de l'organisation de recherche et d'innovation du ministère de la défense \"L'assassinat du martyr Fakhrizadeh montre le désespoir de nos ennemis et la profondeur de leur haine... Son martyre ne ralentira pas nos réalisations.\" Il n'y a eu aucun commentaire d'Israël sur cet assassinat. Le New York Times cite trois responsables américains, dont deux responsables des services de renseignement, comme ayant déclaré qu'Israël était derrière l'attaque. Le nom de Fakhrizadeh a été spécifiquement mentionné dans la présentation du PM israélien Benjamin Netanyahu sur le programme nucléaire iranien en avril 2018. Hossein Dehghan, conseiller militaire du Guide suprême, l'Ayatollah Ali Khamenei, a juré de \"frapper\" les auteurs de l'attentat comme le tonnerre. Le ministre des affaires étrangères Mohammad Javad Zarif a appelé la communauté internationale à \"condamner cet acte de terreur d'Etat\". Quel est le contexte ? La nouvelle de ce meurtre survient alors que l'on s'inquiète de l'augmentation de la quantité d'uranium enrichi produite par le pays. L'uranium enrichi est un élément essentiel pour la production d'énergie nucléaire civile et d'armes nucléaires militaires. Un accord conclu en 2015 avec six puissances mondiales avait fixé des limites à sa production, mais depuis que le président américain Donald Trump a renoncé à cet accord en 2018, l'Iran revient délibérément sur ses engagements. Toutefois, il insiste sur le fait que son programme nucléaire est exclusivement destiné à des fins pacifiques. Joe Biden s'est engagé à renouer le dialogue avec l'Iran lorsqu'il deviendra président des États-Unis en janvier, malgré l'opposition de longue date d'Israël. L'ancien chef de l'Agence centrale de renseignement américaine (CIA), John Brennan, a déclaré que le meurtre du scientifique était un acte \"criminel\" et \"très imprudent\" qui risque d'enflammer le conflit dans la région. Dans une série de tweets, il a déclaré que la mort de Fakhrizadeh \"risque d'entraîner des représailles mortelles et un nouveau cycle de conflit régional\". M. Brennan a ajouté qu'il ne savait pas \"si un gouvernement étranger avait autorisé ou perpétré le meurtre de Fakhrizadeh\". Qu'est-il arrivé à Mohsen Fakhrizadeh ? Fakrizadeh a été blessé lors de l'attaque et est mort plus tard à l'hôpital, a déclaré l'Iran Le ministère iranien de la défense a déclaré que des \"terroristes armés\" avaient pris pour cible un véhicule transportant Mohsen Fakhrizadeh. \"Après un affrontement entre les terroristes et ses gardes du corps, M. Fakhrizadeh a été gravement blessé et s'est précipité à l'hôpital. \"Malheureusement, les efforts de l'équipe médicale pour le sauver n'ont pas abouti et il est décédé il y a quelques minutes.\" Selon les médias iraniens, les attaquants ont ouvert le feu sur le scientifique dans sa voiture. L'agence de presse Fars avait précédemment rapporté qu'une voiture avait explosé dans la ville d'Absard, des témoins ayant déclaré que \"trois à quatre personnes, qui seraient des terroristes, ont été tuées\". On ne sait pas très bien ce qu'il est advenu des hommes armés après l'attaque. Qui était Mohsen Fakhrizadeh ? Fakhrizadeh a longtemps été considéré par des sources occidentales de sécurité comme extrêmement puissant et instrumental dans le programme nucléaire iranien. Selon des documents secrets obtenus par Israël en 2018, il a mené un programme de création d'armes nucléaires. A l'époque, le Premier ministre israélien Benjamin Netanyahu a déclaré avoir identifié Fakhrizadeh comme le responsable scientifique du programme, et a exhorté les gens à \"se souvenir de ce nom\". En 2015, le New York Times l'a comparé à J Robert Oppenheimer, le physicien qui a dirigé le projet Manhattan qui, pendant la Seconde Guerre mondiale, a produit les premières armes atomiques. Professeur de physique, Fakhrizadeh aurait dirigé le Projet Amad, le prétendu programme secret mis en place en 1989 pour étudier la possibilité de construire une bombe nucléaire. Natanz est la seule usine d'enrichissement d'uranium que l'Iran est autorisé à exploiter dans le cadre d'un accord nucléaire mondial pour 2015 Il a été arrêté en 2003, selon l'AIEA, bien que M. Netanyahu ait déclaré que les documents retrouvés en 2018 montraient que Fakhrizadeh dirigeait un programme qui poursuivait secrètement le travail du Projet Amad. L'AIEA a longtemps voulu lui parler dans le cadre de ses enquêtes sur le programme nucléaire iranien. Les soupçons que l'Iran utilise ce programme comme couverture pour développer une bombe nucléaire ont incité l'UE, les États-Unis et l'ONU à imposer des sanctions paralysantes en 2010. L'accord conclu en 2015 par l'Iran avec les États-Unis, le Royaume-Uni, la France, la Chine, la Russie et l'Allemagne prévoyait que l'Iran limiterait ses activités nucléaires en échange d'un allègement des sanctions. Depuis que le président Trump a abandonné l'accord, celui-ci a échoué. Au début de ce mois, l'AIEA a déclaré que l'Iran possédait plus de 12 fois la quantité d'uranium enrichi autorisée par l'accord. Pendant ce temps, les tensions entre les Etats-Unis et l'Iran se sont intensifiées, atteignant leur point culminant en janvier avec l'assassinat par l'Amérique du Général Qasem Soleimani, commandant de la force Quds des Gardiens de la Révolution iranienne."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49914294", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49912340", "doc1": "কিন্তু এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব নারীদের আবিষ্কারক চিন্তার পুরোপুরি এখনো ব্যবহার করতে পারছে না। যুক্তরাজ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বিষয়ক দপ্তর (আইপিও) এর এক গবেষণা বলছে, সারা বিশ্বে পেটেন্ট আবেদনের মাত্র ১৩% আসে নারীদের কাছ থেকে। কিন্তু এক সময়, প্রতি সাত জন আবিষ্কারকের মধ্যে এক জনই ছিলেন নারী। এবং যদিও এখন পেটেন্ট আবেদনে নারীদের হার বাড়ছে তবুও এই বিষয়ে লিঙ্গ সমতা আনা ২০৭০ সালের আগে সম্ভব নয়। তাহলে, আবিষ্কারের দুনিয়ায় নারীদের সংখ্যা এতো কম কেন? গবেষকরা বলছেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে যা একত্রে সংক্ষেপে স্টেম নামে পরিচিত তাতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরণের ফাঁক থাকাটাই এর জন্য দায়ী। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক আইনি প্রতিষ্ঠান পাওয়েল এন্ড গিলবার্টের অংশীদার পেনি গিলবার্টের মতে, এটা একটি পাইপলাইন ইস্যু মাত্র। আরো পড়ুন: চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী \"আমরা যদি নারীদের পেটেন্ট আবেদন বাড়াতে দেখতে চাই, তাহলে আরো বেশি নারীকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে এবং তাদেরকে গবেষণাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে,\" তিনি বলেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের স্টেম শিল্পের কর্মীদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ নারী। এছাড়া মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খুব কম সংখ্যক মেয়ে এবং নারীরা এ ধরণের বিষয়ে পড়াশুনা করে। যদিও এই বৈষম্য দূর করে ভারসাম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্টেমের দুই-তৃতীয়াংশ এখনো পুরুষ সাধারণত, কোন কিছুর আবিষ্কারককেই সেই পণ্যের পেটেন্ট দেয়া হয়। যা ওই পণ্যের আবিষ্কারক বা মালিকদের তাদের পণ্য অন্যদের ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ দেয়। একটি \"আবিষ্কার\" এর পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য হতে হলে, নতুন এক��ি ব্যবহারযোগ্য চিন্তা থাকতে হবে- যা ওই ক্ষেত্রে একজন দক্ষ মানুষের জানা থাকবে না। কোন একক ব্যক্তি বা আবিষ্কারকের একটি দল এই আবেদন করতে পারবে। আবিষ্কারকদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার পার্থক্য আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন নারীদের আবিষ্কারের বিষয়টি একটি পুরুষ-শাসিত দলে একমাত্র সদস্য হিসেবে কোন নারী থাকে। পেটেন্টের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই পুরুষদের দল কিংবা কোন একক পুরুষ আবিষ্কারকের দখলে। আর সেখানে মাত্র ৬% একক নারী আবিষ্কারক থাকেন। আবিষ্কারক কোন দলের সব সদস্য নারী-এমনটা দেখা যায় না বললেই চলে। আইপিওর মতে, নারীদের দলের আবিষ্কারক হিসেবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করার হার মাত্র ০.৩%। তবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করলেই যে নারীরা পেটেন্টের অনুমোদন পায় তা নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পেটেন্ট আবেদন নিয়ে চালানো এক গবেষণা বলেন, কোন আবেদনে নারীর নাম থাকলে পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা কম থাকে। এবং অবশ্যই, আবিষ্কারের সাথে জড়িত সবাইকে তো আর পেটেন্ট দেয়া হয় না। বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক একটি সংস্থার আগের পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, নিজেদের গবেষণার জন্য পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় অর্ধেক কম। এতে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষের মতো তার পণ্যকে বাণিজ্যিক করার বিষয়ে তেমন আগ্রহী নয়। বায়োটেক বা জৈবপ্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি লিঙ্গ সমতা রয়েছে ১৯৯১ সালে, আন সুকামোতো স্টেম সেলগুলি আলাদা করার একটি উপায় তৈরি করেন। তার উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগীদের রক্ত-ব্যবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন ঘটেছিল এবং এটি রোগের প্রতিকার খুঁজে বের করাটাকে সম্ভব করতে যাচ্ছিল। ডাঃ সুকামোতো, যিনি বর্তমানে স্টেম সেল বৃদ্ধির বিষয়ে আরও গবেষণা করছেন, এটি ছাড়াও তিনি আরও সাতটি আবিষ্কারের সহ-পেটেন্টি ছিলেন। জৈবপ্রযুক্তি, ওষুধ এবং খাবারের মতো দরকারি পণ্য তৈরিতে জীবিত প্রাণীর ব্যবহারের গবেষণার খাতটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী আবিষ্কারক জড়িত। প্রায় 53% জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কিত পেটেন্টগুলিতে কমপক্ষে একজন নারী উদ্ভাবক রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে, ফার্মাসিউটিক্যাল সম্পর্কিত পেটেন্টগুলির 52% এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা উদ্ভাবক রয়েছে। এই তালিকার সবচেয়ে নিচে ছিল বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিষয়টি। প্রতি ১০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী আবিষ্কারক ছিল। ২০৭০ সাল নাগাদ সমতা গত ২০ বছরে নারী আবিষ্কারকদের পেটেন্ট গ্রহণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আইপিও বলছে, ১৯৯৮ সালে এই হার ৬.৮% থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে এই হার দাঁড়ায় ১২.৭% এ। একই সময়ের মধ্যে, কোন পেটেন্ট আবেদন যাতে অন্তত একজন নারী আবিষ্কারক রয়েছেন, এমন আবেদনের সংখ্যা ১২% থেকে বেড়ে ২১% হয়। মিস গিলবার্ট বলেন, নারীদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত পছন্দ নিয়ে যে সাধারণীকরণ প্রচলিত আছে তা দূর করতে হলে নারীদের স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে উৎসাহিত করতে হবে। এ বিষয়ে নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে এবং নারী রোল মডেল তৈরি হলে তার যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। \"আমাদের এই বিষয়টির প্রশংসা করতে হবে যে, ইতিহাসে মহান কিছু বিজ্ঞানী এবং আবিষ্কারক নারী ছিলেন-ম্যারি কুরি এবং রোলিন্দ ফ্রাঙ্কলিন থেকে শুরু করে গ্রেস হপার যিনি প্রোগ্রামিং আবিষ্কার করেছিলেন তিনি এবং কেবলারের আবিষ্কারক স্টিফানি কোলেকের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য,\" তিনি বলেন। \"আমাদের উচিত তাদের গল্পগুলো সামনে নিয়ে আসা।\" তালিকার শীর্ষে রাশিয়া ১৯৯৮ সালে যেখানে ৮% ছিল তা থেকে ২০১৭ সালে ১১% এ এসে ঠেকেছে এবং যদিও যুক্তরাজ্যে নারী আবিষ্কারকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু অনেক দেশই আসলে এদিক থেকে যুক্তরাজ্যের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। গত ২০ বছর ধরে জমা পড়া পেটেন্ট আবেদনগুলোর মধ্যে ১৭% আবেদনে অন্তত এক জন নারী থাকায় এই তালিকায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি নারী আবিষ্কারক রয়েছেন। এই তালিকার ১০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান রয়েছে ফ্রান্স। এর ঠিক বিপরীতে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ২০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে একটিরও কম আবেদনে নারী আবিষ্কারক জড়িত থাকার তথ্য জানা যায়। কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল? সাধারণত পেটেন্ট আবেদনে আবিষ্কারকের লিঙ্গের উল্লেখ থাকে না।তাই আইপিও আবেদনে আবিষ্কারকের নামের প্রথম অংশ থেকে লিঙ্গ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এর জন্য ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিস যা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর পেটেন্টের পরিসংখ্যানগত তথ্য রাখে তাদের সহায়তা নেয়। আবিষ্কারকের নামের সাথে তার লিঙ্গের মিল রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয় যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এবং মার্কিন সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের কাছ থেকে জন্ম বিষয়ক তথ্য থেকে। এসব তথ্যে জন্ম নেয়া শিশুর নাম, ছেলে এবং মেয়ে শিশুর সংখ্যার উল্লেখ থাকে। এছাড়া একই সাথে ফেসবুক প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে নামের সাথে লিঙ্গের মিল কতটা থাকে তা থেকেও তথ্য ও সহায়তা নেয়া হয় বড় তথ্য তালিকা তৈরির সময়। এক্ষেত্রে সেসব নামই নেয়া হয়েছে যেগুলো ৯৫% ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে ব্যক্তির লিঙ্গ নিশ্চিত করে। ছেলে বা মেয়ে যে কারো হতে পারে এমন নাম যেমন 'রবিন' তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৭৫% ক্ষেত্রে নামের সাথে লিঙ্গের মিল পাওয়া গেছে। যদিও দেশ ভেদে এই সাফল্যের হারে পার্থক্য রয়েছে। ব্যবহৃত নামের তালিকা গুলোতে পশ্চিমা নামের দিকে ঝোঁক বেশি ছিল, যার কারণে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে সফলতার হার সবচেয়ে বেশি, যেখানে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে এই হার সবচেয়ে কম। ১০০ নারী কী? বিবিসি ১০০ নারীর নামের তালিকায় প্রতি বছর বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণায়ময় নারীর নাম এবং তাদের গল্প প্রকাশ করা হয়। #100Women এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে এই তালিকা পাওয়া সম্ভব। ভিডিও দেখুন: বাংলাদেশে বিজ্ঞান চর্চায় নারীদের যত চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান চর্চায় কতটা আগ্রহী নারীরা বিবিসি বাংলার অন্যন্য খবর: নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার যত সুফল এবং কুফল নারীবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: গান্ধীর যতো বিতর্কিত দিক", "doc2": "Illustration de Grace Hopper, informaticienne américaine et son ordinateur. Les femmes inventeurs représentent un peu moins de 13 % des demandes de brevets dans le monde, selon une étude réalisée par l'Office de la propriété intellectuelle du Royaume-Uni, soit une femme inventeur pour sept hommes. Et bien que la proportion des demandes de brevets augmente, au rythme actuel, elle n'atteindra pas la parité entre les sexes avant 2070. Lire aussi: Mame Rokhaya Lo, seule femme pilote de l’armée sénégalaise La 1ère femme à la tête de la bourse NYSE Alors, pourquoi y a-t-il si peu de femmes dans le monde de l'invention ? Les chercheurs attribuent cet écart à un manque de femmes travaillant dans les sciences, la technologie, l'ingénierie et les mathématiques (Stem). Selon Penny Gilbert, associée du cabinet d'avocats Powell & Gilbert, il s'agit simplement d'une problème de pipeline. \"Si nous voulons qu'un plus grand nombre de femmes déposent des brevets, il faut qu'un plus grand nombre de femmes entreprennent des études à l'université et fassent carrière dans la recherche \", dit-elle. Actuellement, environ un quart seulement de la main-d'œuvre britannique dans les industries dans les Stem est féminine et moins de filles et de femmes étudient ces matières dans l'enseignement secondaire et universitaire, malgré les efforts déployés pour diagnostiquer et résoudre ce déséquilibre. Les deux tiers des équipes sont encore entièrement masculines. Les brevets sont accordés au propriétaire d'une invention, ce qui permet au créateur et aux propriétaires subséquents d'empêcher d'autres personnes d'utiliser son invention. Pour être qualifié de brevet d' \"invention\", le dépôt doit contenir une idée nouvelle et utile - qui ne serait pas évidente pour une personne compétente dans ce domaine. Ils peuvent être déposés individuellement ou par des équipes d'inventeurs. Lire aussi: Malala admise à l'université d'Oxford Bouchra Nassir Ousselat, l'une des rares Tchadiennes dans l'informatique La disparité entre les sexes parmi les inventeurs est encore plus marquée si l'on tient compte du fait que la plupart des inventeurs de sexe féminin sont des femmes seules au sein d'une équipe à prédominance masculine. Plus des deux tiers de tous les brevets proviennent d'équipes entièrement masculines ou d'inventeurs individuels masculins - et seulement 6 % d'inventeurs individuels féminins. Les équipes entièrement féminines sont quasiment inexistantes, ne représentant que 0,3 % des candidatures, selon l'introduction en bourse. Même lorsqu'elles déposent une demande de brevet, les femmes peuvent être moins susceptibles de les recevoir, selon une étude sur les demandes de brevet américaines réalisée par des chercheurs de l'Université Yale. Ils ont constaté que les demandeurs dont le nom était manifestement féminin étaient moins susceptibles de voir leur brevet approuvé. Lire aussi: Et bien sûr, tous ceux qui participent à une invention ne sont pas crédités d'un brevet. Dans l'ensemble, les femmes scientifiques ont deux fois moins de chances d'obtenir un brevet pour leurs recherches, selon une étude précédente de l'Organisation mondiale de la propriété intellectuelle, ce qui suggère que les femmes sont moins susceptibles que les hommes de penser à commercialiser leurs inventions. Les biotechnologies sont les biotechnologies les plus égalitaires entre les sexes En 1991, Ann Tsukamoto a mis au point une méthode pour isoler les cellules souches. Son innovation a mené à de grands progrès dans la compréhension des systèmes sanguins des patients atteints de cancer et pourrait mener à la découverte d'un remède contre cette maladie. Le Dr Tsukamoto, qui mène actuellement d'autres recherches sur la croissance des cellules souches, est également le cotitulaire de plus de sept autres inventions. La biotechnologie, c'est-à-dire l'utilisation d'organismes vivants pour fabriquer des produits utiles comme les médicaments et les aliments, est le secteur qui compte le plus grand nombre d'inventrices. Environ 53 % des brevets liés à la biotechnologie ont au moins une inventrice. En deuxième lieu, 52 % des brevets pharmaceutiques ont au moins une inventrice. Le génie électrique se situait au bas de la liste, avec moins d'une demande sur dix ayant au moins une femme inventeur. Lire aussi: Parité d'ici 2070 La proportion de femmes inventeurs a doublé au cours des 20 dernières années, selon l'IPO, passant de seulement 6,8% en 1998 à 12,7% en 2017, la dernière année pour laquelle des données complètes sont disponibles. Au cours de la même période, la proportion de demandes désignant au moins une femme parmi les inventeurs est passée de 12% à 21%. Mme Gilbert dit qu'il faut s'attaquer aux stéréotypes concernant les choix d'éducation et de carrière des femmes - en encourageant les femmes à choisir les domaines de Stem, en introduisant des programmes de mentorat et en célébrant les modèles féminins de rôle. \"Nous devrions applaudir le fait que certains des plus grands scientifiques et inventeurs de l'histoire ont été des femmes - de Marie Curie et Rosalind Franklin à Grace Hopper, inventrice de la programmation informatique, en passant par Stephanie Kwolek, l'inventrice du Kevlar, dit-elle. \"On devrait raconter leurs histoires.\" Lire aussi: La Russie en tête de liste Bien que le nombre de femmes inventeurs au Royaume-Uni, par exemple, ait augmenté, passant de 8 % en 1998 à 11 % en 2017, d'autres pays sont en bonne voie. Avec 17% des demandes de brevets dont au moins une femme au cours des 20 dernières années, la Russie a eu la plus forte proportion d'inventrices, sur les 10 pays ayant déposé le plus de demandes de brevets, suivie de la France. Au Japon et en Corée du Sud, moins d'une demande de brevet sur 20 comprenait une femme inventeur pendant cette même période. Comment les données ont-elles été recueillies ? Le sexe des inventeurs n'étant généralement pas pris en compte dans les demandes de brevet, l'OPI a déduit leur sexe à partir des prénoms des inventeurs, à partir des données de la base de données statistique mondiale des brevets (PATSTAT) de l'Office européen des brevets. Les noms des inventeurs ont été appariés à un sexe en utilisant les données de naissance de l'Office for National Statistics du Royaume-Uni et de la US Social Security Administration, qui répertorie les noms de tous les bébés nés et le nombre d'entrées masculines et féminines, ainsi qu'en consultant les profils Facebook pour créer une liste plus large de noms et leur sexe probable. Lire aussi: Les femmes effacées de l'histoire de la musique Seuls les noms pour lesquels au moins 95 % des entrées étaient des noms masculins ou féminins ont été inclus, de sorte que les noms non sexistes tels que \"Robin\" ont été exclus. Au total, 75 % des noms d'inventeurs ont été appariés à un sexe, bien que ce taux de réussite varie d'un pays à l'autre. Les listes de noms utilisées étaient biaisées en faveur des noms occidentaux, de sorte que le Royaume-Uni a le \"taux de réussite\" le plus élevé, tandis que les pays d'Asie de l'Est, y compris la Corée du Sud et la Chine, ont un taux inférieur. Regarder aussi: Des jeunes filles, pilotes de l'air en Afrique du sud Qui sont les 100 Women? BBC 100 Women partage l'histoire des cent femmes qui les plus d'influentes et qui ont le plus inspiré les autres dans le monde entier chaque année."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48946013", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48928582", "doc1": "নিয়মিত কনসার্টে গেলে স্বাস্থ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশেষ করে এতে ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হয় সেইসঙ্গে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগ মোকাবেলা করতেও সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের অধ্যাপক ডেইজি ফ্যানকোর্ট বলেন, \"গান গাইলে কোর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।\" \"এছাড়া এটি এন্ডরফিন হরমোনের নি:সরণেও সাহায্য করে। যে হরমোনের মাত্রার ওপর আমাদের মেজাজ ভাল থাকা-না থাকা নির্ভর করে।\" একাধিক প্রভাব অধ্যাপক ফ্যানকোর্টের মতে, গান গাওয়ার নানাবিধ স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের মানসিক অভিব্যক্তি, যেটা কিনা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বা মানুষের সঙ্গে ভাব আদান প্রদানে সাহায্য করে। ফলে মানুষের মধ্যে থাকা বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি হ্রাস পায়। \"যারা নিয়মিত কনসার্টে যান - সেটা হোক ক্লাসিক সঙ্গীত বা রক মিউজিকের -তাদের প্রত্যেকের প্রায় একই হারে স্ট্রেস হরমোন কমেছে বলে জানা গেছে\", বলেন মিজ. ফ্যানকার্ট। গবেষকরা আরও যোগ করেছেন যে, \"গুরুতর এবং স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় যারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, তাদের এমন সমস্যা থেকে বের করে আনতে গান গাওয়া বড় ধরণের উপকারে এসেছে।।\" আরও পড়তে পারেন: কোন গান বা সুর মাথায় গেঁথে যায় কেন? ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গান জনপ্রিয় কিভাবে হল? সৌদি আরবে নিকি মিনাজের কনসার্ট নিয়ে বিস্ময় গান গাইলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ধ্যান জার্মানিতে বসবাসকারী গায়ক অ্যানবেল গান গাওয়া মাত্রই এর প্রভাব তার দেহ ও মনে প্রতিফলিত হয় বলে জানান। প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি তিন ঘণ্টা গান গাওয়া অনুশীলন করেন। \"যখন আমি গান করি, তখন আমার মনে হয় আমি ধ্যান করছি। আমি নিজেকে সঙ্গীতের ভেতর ডুবিয়ে দেই। আর এ কারণে আমি ভেতর থেকে সত্যিই ভাল বোধ করি।\" স্মৃতিভ��রষ্ট রোগ বা ডিমেনশিয়া সঙ্গীত, বিশেষ করে গান গাওয়া, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করে। এজন্য গানকে থেরাপি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। \"যখন আমরা গান করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কের পিকর্টিক্যাল অংশে রক্তের প্রবাহ বাড়ে। মস্তিষ্কের এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই মানুষের ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে\", জানান ড. সাইমন ওফার। \"যখন ডিমেনশিয়া রোগীরা গান গেয়ে ওঠেন বা গান শোনেন, তখন তারা অনেকটা ঘুম থেকে জেগে ওঠার অনুভূতি এবং বিভিন্ন কাজে নিজেদের আরও গভীরভাবে জড়িয়ে নেন।\" অনেক স্থানে গান গাওয়াকে থেরাপির অংশ হিসেবে মনে করা হয়। মেজাজের উন্নয়ন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা 'মাইন্ড সং' নিয়মিতভাবে তাদের গায়কদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠান যেন তারা সেখানে বসবাসকারী সবাইকে গান গাইতে উৎসাহিত করতে পারেন। এর পরের ফলাফল আশ্চর্য হওয়ার মতোই। \"একটি দলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গান গাওয়ার কারণে ঐ বয়স্ক ব্যক্তিদের পরের দিন পর্যন্ত মেজাজ ভাল থাকতো\",বলে জানান ঐ বৃদ্ধাশ্রমের এক তত্ত্বাবধায়ক। মাইন্ড সং-এর পরিচালক ম্যাগি গ্র্যাডি বলেন,\"দলীয়ভাবে গান গাইলে মানুষ তাদের মানসিক অসুস্থতা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পারে, তারা নিজেদের মূল্যায়ন করতে শেখে এবং এতে তাদের নিজেদের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়।\" লিবার্টি কোইর বন্দিদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এবং সমাজে পুনরায় সংহত করতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ কারাগারে একটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। এম জে পারানজিনোর পরিচালক লিবার্টি কোয়ের ব্রিটেনের জেলখানায় থাকা বন্দীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি পরিচালনা করেন, যেন তারা ছাড়া পাওয়ার পর সমাজে আগের মতো সহজেই মিশে যেতে পারে বা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। \"বন্দীরা শুরুতে শুরুতে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে চায়নি। কিন্তু গান গাওয়া শুরু করার পরে তারা আগের চাইতে অনেক বেশি চোখে চোখ রাখার সাহস অর্জন করতে পেরেছিল\" ,বলেন লিবার্টি কোয়ের। এছাড়া দলীয় সংগীত একাকীত্ব ও সংকোচ কাটাতে, আড়ষ্টতা দূর করে আত্মবিশ্বাসী করতে, এমনকি ব্যক্তির সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে বলে তিনি মনে করেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলানো উচিৎ, বলছেন কোহলি পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন? খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ অনেক দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে গান ওতোপ্রোতভাবে মিশে আছে। ফুসফুসের উন্নয়ন মাইন্ড সং নামের ওই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি ফুসফুসে আক্রান্ত রোগীদের সংগীতের পাঠ দিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে হাঁপানি রোগী থেকে শুরু করে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী পর্যন্ত রয়েছেন। পাঁচ বা ছয়টি গানের সেশনে যোগ দেওয়ার পর সেখানকার বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীদের শ্বাসপ্রশ্বাসে বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে গান গাওয়া শ্বাস প্রশ্বাসজনিত যেকোন সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। হরমোন গান গাওয়ার কারণে শরীরে এন্ডোরফিন নামের হরমোন নি:সরিত হয়, যার সঙ্গে আমাদের মানসিক তৃপ্তি জড়িত। গান গাওয়ার সময় আমাদের গভীর শ্বাস নিতে হয়, যা শরীরের চারপাশে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে এবং এন্ডোরাফিনের প্রভাব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আমরা যখন অনেক হাসাহাসি করি বা চকোলেট খাই, তখন আমাদের শরীরে এন্ডোরাফিনের ঝড় বয়ে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৪০ মিনিট ধরে দলীয় গান গাওয়ার পরে মানুষের শরীরে কর্টিসোল বা স্ট্রেস হরমোন স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বেশি হারে নি:সরিত হয়েছে। আমাদের কর্টিসলের মাত্রা সাধারণত দিনের শেষে বন্ধ হয়ে যায়, তবে গান গাইলে এর নি:সরণের গতি আরও বাড়ে। গবেষকরা জানিয়েছেন, গান গাইলে শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নি:সরণ হয়। এছাড়া গান গাইলে অক্সিটোসিন হরমোন উৎপাদন হয়। যাকে কখনও কখনও 'প্রেমের হরমোন' বলা হয়। আমরা যখন প্রিয় কাউকে আলিঙ্গন করি তখন অক্সিটোসিন হরমোন নি:সরণ হয়। এই হরমোন বিশ্বাস এবং বন্ধনের মতো মানবিক অনুভূতিগুলোকে বাড়াতে সাহায্য করে। গান গাইলে মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করা ডোপামিন হরমোনও নি:সরিত হয়। এটি মন মেজাজ ভাল রাখতে বা ভাল অনুভূতি জাগাতে সাহায্য করে।", "doc2": "Chanter et écouter de la musique dans des concerts peuvent avoir des effets bénéfiques mesurables sur la santé. Il peut améliorer la respiration des personnes atteintes d'affections pulmonaires et aider les personnes atteintes de démence à mieux gérer leurs symptômes. Au cours des deux dernières décennies, de nombreux chercheurs ont tenté de cerner les mécanismes psychologiques, biologiques et comportementaux qui lient le chant à la santé. Lire aussi : Le chant pour braver une dépression post-natale Pour vivre longtemps, fuyez la solitude! Le professeur Daisy Fancourt, de l'University College London, dit qu'un certain nombre de changements se produisent dans le corps pendant qu'une personne chante : \"On note par exemple une réduction des hormones de stress comme le cortisol. Nous voyons aussi des diff��rences dans les niveaux d'endorphines qui sont liées à notre humeur.\" Effets multiples Le professeur Fancourt a fait des recherches approfondies sur les bienfaits du chant pour la santé et affirme qu'il a de multiples effets. Le chant est utilisé comme thérapie pour les personnes aux prises avec des problèmes neurologiques. \"Le chant est une activité de santé multimodale. Il y a beaucoup d'éléments. Le chant implique l'expression émotionnelle, ce qui, nous le savons, est bon pour la santé mentale. Il fournit également des interactions sociales qui peuvent aider à réduire le sentiment d'isolement\", explique la professeure. Elle dit que même écouter de la musique peut avoir des effets bénéfiques mesurables sur la santé. \"Parmi ceux qui vont aux concerts, qu'il s'agisse de musique classique ou de musique rock, nous avons constaté une réduction similaire du niveau de stress. Cela montre les facteurs contextuels en jeu\", souligne-t-elle. Lire aussi : Réguler son sommeil pour améliorer son bien-être Huit conseils pour dormir comme un footballeur de Premier League Un article publié en 2011 par Canterbury Christ Church University, UK, a constaté que \"le chant peut être utile pour les personnes souffrant de problèmes de santé mentale et physique\". Les chercheurs ont ajouté que \" le chant en groupe peut avoir des avantages substantiels en aidant les personnes ayant des antécédents de problèmes de santé mentale graves et persistants à se rétablir \". Méditation La choriste Annabel, qui vit en Allemagne, est heureuse de témoigner des bienfaits immédiats du chant sur son corps et son esprit. Chanter produit de nombreux bienfaits immédiats sur le corps et l'esprit. \"Quand je chante, c'est une sorte de méditation. Je me plonge dans la musique. Je me sens vraiment bien\", raconte-t-elle. Tous les jeudis, elle s'entraîne pendant trois heures. \"Il faut tout le corps pour chanter. C'est mon excuse pour ne pas aller à la salle de sport \", ajoute-t-elle. Démence sénile La musique, et en particulier le chant, est utilisée comme thérapie pour aider à faire face à la démence sénile. Les chercheurs disent que le chant libère certaines hormones qui sont bénéfiques pour la santé \"Quand nous chantons, il y a une partie de notre cerveau qui reçoit plus de sang - les zones précorticales - ce sont celles qui sont habituellement conservées dans la démence sénile lorsque beaucoup d'autres choses ont disparu. Ce sont les domaines concernés par les émotions \", dit le Dr Simon Opher. Lire aussi : Démence : nouvelle découverte Le médecin de famille, originaire de Cheltenham en Angleterre, affirme qu'écouter des chansons \"réveille vraiment les patients atteints de démence et les rend plus impliqués\". Bienfaits L'organisation caritative britannique Mind Song envoie régulièrement ses chanteurs dans les maisons de retraite pour encourager les résidents à chanter. Le chant est bénéfique pour les personnes souffrant de maladies respiratoires. \"Il y a de bons avantages à chanter avec un groupe. Les soignants nous disent que les personnes âgées sont de bonne humeur jusqu'au lendemain \", explique Maggie Grady, directrice de la musicothérapie de l'organisation. Mind Song donne également des cours de chant pour les patients souffrant d'affections pulmonaires persistantes allant de l'asthme au cancer du poumon. A écouter : \" Le continent ne représente 2% des revenus mondiaux en matière de musique \" \"Après avoir assisté à cinq ou six séances de chant, certains de nos participants ont montré une nette amélioration du débit de pointe - c'est-à-dire le volume d'air que vous pouvez expirer de vos poumons\", dit-elle. Les tests de débit de pointe mesurent la vitesse à laquelle l'air peut être expulsé des poumons - un indicateur clé pour les personnes ayant des problèmes respiratoires. Puissance pulmonaire De nombreuses pratiques religieuses impliquent de chanter. Il n'est donc pas surprenant que les patients souffrant d'une maladie pulmonaire grave cherchent à chanter pour essayer d'améliorer leur état. Colin souffre de fibrose pulmonaire idiopathique, une maladie incurable qui tue la moitié des personnes qui la contractent en trois ans. Mais malgré la gravité de son état, il dit que le chant l'aide à s'en sortir. \"Je chante avec un groupe de 16 personnes. Cela m'a aidé à mieux gérer ma respiration. J'ai des tests de fonction pulmonaire régulièrement et certains indicateurs se sont améliorés\", raconte-t-il. Hormones Le fait de chanter fait que le corps libère des endorphines, qui sont associées au plaisir. Le chant nous fait respirer profondément, ce qui à son tour augmente la circulation sanguine et aide à augmenter l'effet des endorphines. Les chercheurs affirment qu'assister à des concerts peut avoir un impact positif sur notre santé. C'est semblable à la poussée d'endorphine qu'on ressent quand on rit ou qu'on mange du chocolat. Une étude a révélé qu'après seulement 40 minutes de chant en groupe, le cortisol - l'hormone du stress - chute beaucoup plus rapidement qu'à la normale. Nos niveaux de cortisol diminuent normalement à la fin de la journée, mais en chantant, le processus peut être accéléré. A regarder : L'hymne à la joie des Japonais On a découvert que les chanteurs de chorale produisent l'hormone ocytocine, que l'on appelle parfois \" l'hormone de l'amour \". On la libère quand on s'étreint, et cela renforce les sentiments de confiance et d'attachement. Cela pourrait expliquer pourquoi les personnes qui chantent dans les chorales vivent un état d'amitié et d'unité. Le chant déclenche également la libération de dopamine, un neurotransmetteur courant dans le cerveau. Il est connu pour produire un état de bien-être en réponse à certains autres stimulants comme la consommation ou la prise de cocaïne. Sa libération est liée au renforcement et à la motivation. Assistance technologique Les personnes qui ne veulent pas quitter leur maison peuvent se joindre à une chorale virtuelle, ils essaient de créer la même ambiance qu'un groupe régulier. Le concept réunit des chanteurs du monde entier et les met en relation par le biais de la technologie. Le compositeur et chef d'orchestre Eric Whitacre, lauréat d'un Grammy Award, dirige l'un de ces chœurs virtuels. Les chanteurs enregistrent et téléchargent leurs vidéos à partir de différents endroits, elles sont ensuite synchronisées et combinées en un seul spectacle.. Universel Une étude réalisée en 2017 à l'Université d'East Anglia, au Royaume-Uni, auprès de chanteurs participant à des ateliers hebdomadaires gratuits a permis d'améliorer leur humeur et leurs aptitudes sociales. Elle a constaté que le fait de chanter en groupe peut aider les gens à se rétablir d'une maladie mentale, en leur donnant le sentiment d'être valorisés et en augmentant leur niveau de confiance. A regarder : Combattre les crimes contre les albinos par le chant Liberty Choir dirige un programme dans les prisons britanniques dans le but de renforcer la confiance en soi des détenus et de les aider à se réinsérer dans la société. \"Au début, les détenus étaient réticents, mais après avoir commencé à chanter, ils ont eu beaucoup de contact. Ils se sentaient aussi plus en sécurité \", dit le directeur du Liberty Choir, MJ Paranzino. Elle a vu de plus en plus de gens se joindre à des groupes de chant au cours des vingt dernières années. \"Il s'agit d'avoir un passe-temps qui vous permet de vous exprimer et dans lequel vous n'avez pas besoin d'être le meilleur\", explique-t-elle. Inhibitions Les chercheurs affirment que l'interaction sociale qui accompagne la participation à une chorale peut également contribuer à réduire la solitude et à améliorer la résilience sociale. Le chant et la danse font partie intégrante de nombreuses cultures. Contrairement aux garçons et aux fillettes, qui commencent souvent à chanter avec enthousiasme à l'école, beaucoup d'adultes ont du mal à se lancer. \"Le premier jour de chorale est comme le premier jour de travail. Vous serez un peu à l'écart, peut-être un peu timide. Il faut du courage pour s'insérer. Une fois ces inhibitions surmontées, vous découvrirez un monde nouveau et étonnant\", assure MJ Paranzino."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44872610", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-44757360", "doc1": "হাসপাতালে কিশোর ফুটবলাররা সংবাদমাধ্যমের সাথে কথাবার্তা বলার পর তারা যে যার বাড়িতে ফিরে যাবে বলে থাই কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। উদ্ধার হওয়ার পর থেকে উত্তর থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই-এর এক ক্লিনিকে এই কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে এই কিশোরদের কিছু সময় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে কাজ করতে হবে। থাই রীতি অনুযায়ী, কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর মানুষ স্বল্প সময়ের জন্য ভিক্ষুর ভূমিকা পালন করেন। কিশোর ফুটবলাররা কেন গুহার গভীরে গিয়েছিলো? এই প্রশ্নে অনেক বক্তব্য এসেছে। কিন্তু যারা গুহায় আটকা পড়েছিল, সেই কিশোর ফুটবলার এবং তাদের সাথে থাকা সহকারি কোচের কাছ থেকে সরাসরি এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তাদের প্রধান কোচ নোপারাত ��ানতাওং বলেছেন, শনিবার তাদের একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল। সেটি বাতিল করে তিনি সেদিন প্রশিক্ষণের জন্য সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি তাদের গুহায় যাওয়ার জন্য কোনো পরামর্শ দেননি। ফলে তাদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল না। গুহার ভেতরে কিশোর ফুটবলাররা এবং কোচ একাপোল আরও পড়তে পারেন: খালেদাকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি: মালয়েশিয়ায় যুবক গ্রেপ্তার বাংলাদেশে এসে আম খেতে চেয়েও পাননি ম্যান্ডেলা নিহত আইএস যোদ্ধাদের সন্তানরা কোথায় যাবে? তবে শনিবার কিশোর ফুটবলারদের একজনের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন পালনের জন্য সেদিন স্থানীয় একটি দোকান থেকে এই কিশোররা সাত'শ থাই বাথ দিয়ে খাবার কিনেছিল বলে ঐ দোকানদার জানিয়েছেন। প্রধান কোচ নোপারাত কানতাওং বলেছেন, সহকারি কোচ একাপল এই কিশোর ফুটবলারদের খুব ভালবাসে এবং তাদের জন্য সে সবকিছু করতে পারে। তিনি ধারণা করছেন, কিশোর ফুটবলাররা সহকারি কোচের কাছে আবদার করে তাকে নিয়ে গুহায় গিয়েছিল। এই এলাকায় গুহাটি সকলের কাছে পরিচিত এবং এই কিশোররাও আগে ঔ গুহায় গিয়েছিল। তারা যে গুহার গভীরে চলে যায়, সে ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে, তারা যখন গুহায় গেছে, তখন শুকনো ছিল। কিন্তু হঠাৎ অতিবর্ষণে গুহায় পানি বাড়তে থাকায় তারা গভীরে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিশোর ফুটবলারদের সাথে কোচের এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল উদ্ধার হওয়ার পর এই কিশোরদের সাথে তাদের বাবা মাকে কাছে যেতে দেয়া হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নে থাই কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা হচ্ছে, এই কিশোররা এখনও অনেক দূর্বল। আর এমন দূর্বল শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেকারণে তারা এমুহুর্তে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কিশোর ফুটবলারদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে। থাইল্যান্ডে তাদের জীবন এখন অনেক মূল্যবান। তাদের কোনো ক্ষতি হোক, সেই সুযোগ দিতে রাজি নয় থাই কর্তৃপক্ষ। সেজন্য পিতা মাতাদের কাঁচের দেয়ালের বাইরে থেকে দেখানো হয়েছে। এই কিশোরদের বেশিরভাগের পিতা মাতা প্রান্তিক এলাকার এবং দরিদ্র। তাদের সন্তানদের যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে তারা বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। ফলে আপাতত সন্তানের কাছে যেতে না দেয়ার জন্য পিতা মাতারা প্রতিবাদ করবেন না। প্রধান কোচের (ডানে) সাথে সহকারি কোচ একাপল (বামে) সহকারি কোচ একাপল এর বিরুদ্ধে কী শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কোনো ব্যবস্থা নেয়া ��বে? যেহেতু এই কোচ কিশোরদের সাথে গুহায় গিয়েছিলেন, সেখানে ঘটনার দায় তার উপরই আসতে পারে। কিন্তু কিশোরদের মাতা পিতারা বলেছেন, তারা তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন। কারণ গুহায় আটকা থাকাবস্থায় এই সহকারি কোচই কিশোরদের উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন। এছাড়া সহকারি কোচ অতীতে ১২ বছর ভিক্ষু হিসেবে ছিলেন। ফলে তিনি মেডিটেশন বা ধ্যানের মাধ্যমে কিশোরদের ধকল সামাল দেয়ার মতো পরিস্থিতিতে রাখতে পেরেছিলেন। গুহায় আটকা পড়ার পর তাদের কাছে যেটুকু খাবার ছিল, তা তিনি নিজে না খেয়ে থাকার চেষ্টা করেছেন। তিনি খেলে কিশোরদের খাবার কমে যেতে পারে, এই চিন্তা তার মধ্য ছিল। এমন অনেক কথা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছড়িয়েছে। তাঁর প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে থাই জনগণের মাঝে। তাছাড়া থাই জনগণের মাঝে দোষারোপের সংস্কৃতি নেই। তারা কী গুহার ভেতরে পুরোটা সময় অন্ধকারে ছিল? তাদের সাথে ছিল কমদামি টর্চ লাইট। যেটি অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তাদের খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ, নয়দিন তারা অন্ধকারে ছিল। এরপর থাই সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক এবং তিনজন ডুবুরি যখন তাদের খুঁজে পেলো, তখন তাদের কাছে আলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। অনেকদিন অন্ধকার গুহায় থাকার পর আলো জ্বালানোর কারণে চোখ বাঁচাতে তাদের তখন সানগ্লাস পড়তে হয়। এখন অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে শুরু করেছে কিশোরদের উদ্ধারে এতবড় অভিযানে অর্থ কে দিয়েছে? অভিযানের পিছনে খরচের বড় অংশ দিয়েছে থাই সরকার। অনেক দেশ এতে জড়িত ছিল, সেই দেশগুলোও তাদের নিজেদের সহযোগিতা দলের খরচ বহন করেছে। যেমন মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩০ জন সদস্য এসেছিল সাহায্যের জন্য।সেই অর্থ মার্কিন সরকার দিয়েছে। থাই ব্যবসায়ীরা অনেকে পরিবহণ এবং খাবার দিয়ে সাহায্য করেছে। আন্তর্জাতিক ডুবুরিদের আনার জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে টিকেট দিয়েছে। এছাড়া অনেক সাধারণ মানুষও নানাভাবে সাহায্য করেছে। আরও পড়ুন: কিশোরদের বাঁচিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা ছিল যে কোচের হাসপাতালে কেমন আছে গুহা থেকে উদ্ধার শিশুরা?", "doc2": "Un des quatre enfants évacué dans une ambulance à l'hôpital de Chiang Rai. Narongsak Osottanakorn, le Gouverneur de Chiang Rai, a indiqué que l'opération pourrait durer deux à trois jours dans cette région pluvieuse du nord de la Thaïlande, à la frontière avec la Birmanie et le Laos. Lire aussi : Le général Chalongchai Chaiyakorn, un responsable de la cellule de crise, a annoncé que le premier enfant sera évacué vers 21 heures locales (14H00 GMT). Le Gouverneur Narongsak Osottanakorn, chef de la cellule de crise, faisant face à la presse. Chaque enfant de cette équipe des \"sangliers sauvages\" sera escorté par deux plongeurs vers la sortie. Treize plongeurs étrangers et cinq commandos de la marine thaïlandaise participent à cette opération. Un ancien plongeur de la marine thaïlandaise est décédé vendredi lors d'une opération de ravitaillement des enfants. Les équipes de secours à pied d'œuvre pour évacuer les enfants bloqués dans la grotte de Tham Luang Nang Non à Chiang Rai. Des centaines de journalistes du monde entier ont pris quartier aux alentours de la grotte pour filmer l'évacuation des enfants. Les jeunes footballeurs, partis explorer la grotte le 23 juin après leur entraînement, ont été piégés par la montée des eaux."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55527616", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55530066", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প: \"আমি কেবল ১১,৭৮০টি ভোট পেতে চাই\" ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ওই রেকর্ডিংয়ে মি. ট্রাম্প রিপাবলিকান ব্র্যাড রাফেনস্পারগারকে বলেন, \"আমি কেবল ১১,৭৮০টি ভোট পেতে চাই। তবে মি. রাফেনস্পারগার উত্তরে বলেছেন যে জর্জিয়ার ফলাফল সঠিক ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জর্জিয়াসহ অন্যান্য দোদুল্যমান রাজ্যে জয়লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে মি. বাইডেন ৩০৬টি এবং মি. ট্রাম্প ২৩২টি ভোট পান। তেসরা নভেম্বর ভোটের পরে, মি. ট্রাম্প কোন প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কয়েকটি রাজ্যের ভোট পুনর্গননা এবং আইনি আপিল শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫০টি রাজ্য নির্বাচনের ফলাফলের অনুমোদন দেয়। এখন পর্যন্ত মার্কিন আদালত মি. বাইডেনের জয়ের বিরুদ্ধে ৬টি চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬ই জানুয়ারি কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনের ফলাফলকে অনুমোদন দেবে বলে কথা রয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতা মি. বাইডেন ২০শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করবেন। জর্জিয়ায় আরও দুই জন সেনেটরকে নির্বাচিত করতে মঙ্গলবার ওই রাজ্যের ভোটারদের আবার ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ফলাফল সেনেটে ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ করতে পারে। যদি দুই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিজয়ী হন, তবে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক সেনেটরের সংখ্যা সমান সমান হবে। এমন অবস্থায় নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভোট দেয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানাবেন। মি. বাইডেনের ডেমোক্র্যাট পার্টি ইতিমধ্যে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ব্র্যাড রাফেনস্পারগার এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন যে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে বিতর্কিত দাবিগুলো \"আমাদের রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে\" ট্রাম্পের ফোন কলে কী কথা হয়েছিল? ওয়াশিংটন পোস্ট যে উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছিল, সেখানে জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেটকে মি. ট্রাম্প নানা কথায় ভুলিয়ে পর্যায়ক্রম�� চাপ দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তিনি জর্জিয়ার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং মি. রাফেনস্পারগারকে ট্রাম্প বলেন \"পুনরায় ভোট গণনা করা হয়েছে এই কথাটি বলার মধ্যে তো কোন ভুল নেই।\" মিঃ রাফেনস্পারগার তার প্রতিক্রিয়ায় মি. ট্রাম্পকে বলেন: \"মি. প্রেসিডেন্ট আপনার কাছে থাকা তথ্যটি ভুল।\" পরে ওই ফোনালাপে মি. ট্রাম্প বলেন যে, এমন গুজব রয়েছে যে রাজ্যের ফুলটন কাউন্টি থেকে ভোটের সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ব্যালট ভেঙে ফেলা হয়েছে - মি. রাফেনস্পারগারের আইনজীবী বলেছেন যে এমন কিছুই হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন সম্ভাব্য আইনি পরিণতির জন্য ওই কর্মকর্তাকে হুমকি দেন। মি. ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, \"আপনি জানেন যে তারা কী করেছে এবং আপনি এই বিষয়টি উত্থাপন করছেন না। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। আপনি এমনটা হতে দিতে পারেন না। এটি আপনার এবং আপনার আইনজীবী রায়ানের জন্য অনেক ঝুঁকির হবে\"। তারপরে তিনি অতিরিক্ত ১১,৭৮০ ভোট খুঁজে দেয়ার আহ্বান জানান - এর ফলে ওই রাজ্যটিতে ট্রাম্পের মোট ভোটের সংখ্যা হবে ২৪,৭৩,৬৩৪টি । যা বাইডেনের প্রাপ্ত ভোটের চাইতে একটি ভোট বেশি। জর্জিয়া রাজ্যে বাইডেন মোট ২৪,৭৩,৬৩৩টি ভোট পেয়েছিলেন। বাইডেনের বিজয়কে উল্টে দিতে ট্রাম্প সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প মি. রাফেনস্পারগারকে বলেন যে এই রাজ্যের ফলাফল পুনরায় যাচাই করা উচিৎ। \"আপনি এটি পুনরায় যাচাই করতে পারেন, তবে রাজ্যটিতে এই ফল যাচাইয়ের কাজ এমন লোকদের নিয়ে করাতে হবে যারা উত্তর খুঁজে পেতে চান। এমন লোকদের নেয়া যাবে না, যারা উত্তর খুঁজতে চান না\" তিনি বলেন। জবাবে মি. রাফেনস্পারগার বলেন, \"মি. প্রেসিডেন্ট, আপনার কাছে তথ্য জমা দেওয়ার মতো লোক রয়েছে এবং আমাদেরও এমন লোক আছে যারা তথ্য জমা দেয়। এবং তারপরে এটি আদালতের সামনে আসে এবং আদালত একটি সিদ্ধান্ত নেয়\" । তিনি আরও বলেন \"আমাদেরকে আমাদের এই সংখ্যার পক্ষে দাঁড়াতে হবে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের সংখ্যা সঠিক\" রোববার মি. ট্রাম্প টুইটে অভিযোগ করেন যে মি. রাফেনস্পারগার ভোট জালিয়াতির বিবরণ দেয়নি। তার কোনও সূত্রই নেই!\" প্রেসিডেন্ট টুইটে বলেন। মি. রাফেনস্পারগার পাল্টা টুইট করে বলেন: \" শ্রদ্ধার সাথে বলছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনি যা বলছেন তা সত্য নয়। সত্য প্রকাশিত হবে।\" হোয়াইট হাউস অডিও ফাঁসে�� বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যাডাম শিফ বলেছেন: \"এই টেপ ফাঁসের মাধ্যমে ট্রাম্পের গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা আরও একবার সামনে এসেছে।\" মধ্যপন্থী রিপাবলিকান অ্যাডাম কিনজিংগার টুইট করে বলেন: \"নির্বাচনী ফলের বিরুদ্ধে এমন কথাবার্তা কংগ্রেসের প্রতিটি সদস্যের জন্য অনেক সাংঘাতিক বিষয়। আপনি সেটা করতে পারেন না যদি করতেই হয় তাহলে পরিষ্কার নীতিবোধ থেকে করতে হবে।\" ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা শেষ সপ্তাহগুলোয়, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের অনেক ভক্তই এখনো তার নির্বাচনী পরাজয়ের কথা বিশ্বাস করেন না তিনি সবশেষ জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেটকে নানা কথায় ভুলিয়ে, কাকুতি মিনতি করে এমনকি হুমকি দিয়ে জর্জিয়ায় জয় পেতে প্রয়োজনীয় ভোটগুলো খুঁজে দেয়ার কথা বলেছেন। তবে জর্জিয়ায় ভোট জালিয়াতির কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জর্জিয়া পর পর তিন বার এসব ভোট গণনা করেছে। কিন্তু বড় কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র তার নির্বাচনের ফলাফলকে অনুমোদন দিয়েছে এবং জর্জিয়া উল্টে গেলেও ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করার পক্ষে সেটা যথেষ্ট হবে না। ট্রাম্পের এই ফোনালাপে একটি বিষয় স্পষ্ট যে তিনি কেবল প্রেসিডেন্ট-পরবর্তী ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কৌশল চালাচ্ছেন বা চেষ্টা করছেন তার তহবিলের সংগ্রহ বাড়াতে। তবে ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, তিনি জয়ী হয়েছেন এবং এজন্য তিনি যেকোনো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে রাজী। নির্বাচনের ফল তার পক্ষে আনার জন্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদেরকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি, বৈধতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলছেন। ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপটি আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, \"আমি চাই আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন,\", যেখানে তিনি রাজনৈতিক সহায়তার জন্য বিদেশী নেতাকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে চাপ দিয়েছিলেন। সেই যোগাযোগের কারণে ট্রাম্প অভিশংসনের মুখে পড়েন। এই ফোনালাপ ফাঁসের কারণে তার পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায় আরও কঠিন হয়ে যাবে।", "doc2": "Trump refuse d'admettre sa défaite quelques jours avant que le Congrès n'officialise la victoire de Joe Biden \"Je veux juste trouver 11 780 voix\", a déclaré M. Trump au secrétaire d'État républicain Brad Raffensperger dans un enregistrement publié par le Washington Post. On entend M. Raffensperger répondre que les résultats de la Géorgie sont corrects. Joe Biden a gagné la Géorgie avec d'autres États charnière, remportant 306 votes du collège électoral contre 232 pour M. Trump. Le vice-président élu Kamala Harris a qualifié les propos de M. Trump d'\"abus de pouvoir audacieux\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Cette victoire intervient avant le second tour des élections en Géorgie, qui décidera du parti qui contrôlera le Sénat. Depuis le vote du 3 novembre, M. Trump a fait des allégations non fondées de fraude électorale généralisée. Les 50 États ont tous certifié le résultat des élections, certains après des recomptages et des recours juridiques. Le Congrès doit approuver officiellement le résultat des élections le 6 janvier et M. Biden, un démocrate, doit être investi comme président le 20 janvier. Les dix anciens secrétaires d'État à la défense des États-Unis encore en vie ont demandé au président Trump de ne pas remettre en cause les résultats des élections dans un article d'opinion du Washington Post. Le groupe a également déclaré qu'il ne devrait pas impliquer les militaires dans les conflits électoraux, une idée qui a été évoquée par certains des partisans de M. Trump. vote Que s'est-il passé pendant l'appel de Trump ? Dans des extraits de l'appel téléphonique de samedi publié par le Washington Post, on peut entendre M. Trump alternativement cajoler et faire pression sur le secrétaire d'État de la Géorgie. Il a insisté sur le fait qu'il avait gagné les élections en Géorgie et a dit à M. Raffensperger qu'il n'y avait \"rien de mal à dire que vous avez recalculé\". M. Raffensperger a répondu en disant : \"le défi que vous avez, Monsieur le Président, est que les données dont vous disposez sont erronées\". Plus tard dans l'appel, M. Trump dit que la rumeur est que les bulletins de vote avaient été déchiquetés et que les machines à voter avaient été retirées du comté de Fulton dans l'État - des affirmations démenties par l'avocat de M. Raffensperger. Que réserve l'élection du président américain Biden en 2021 ? Le président a alors menacé le fonctionnaire de conséquences juridiques éventuelles. \"Vous savez ce qu'ils ont fait et vous ne le signalez pas. C'est une infraction pénale. Vous ne pouvez pas laisser cela se produire. C'est un grand risque pour vous et pour Ryan, votre avocat\", menace M. Trump. Il a ensuite demandé les 11.780 voix supplémentaires - ce qui lui aurait donné un total de 2.473.634 voix dans l'Etat, soit une de plus que M. Biden, qui a reçu 2.473.633 voix. Il a dit à M. Raffensperger qu'il devrait réexaminer le résultat dans l'État. Brad Raffensperger a déjà averti que les affirmations démenties sur la fraude électorale \"nuisent à notre État\". \"Vous pouvez le réexaminer, mais avec des gens qui veulent trouver des réponses, et non pas avec des gens qui ne veulent pas trouver de réponses\", a-t-il dit. \"Monsieur le Président, vous avez des gens qui soumettent des informations et nous avons les nôtres qui soumettent des informations, et ensuite elles sont présentées au tribunal et celui-ci doit prendre une décision\", a répondu M. Raffensperger. \"Nous devons nous en tenir à nos chiffres, nous pensons que nos chiffres sont justes\". M. Trump a également averti M. Raffensperger qu'en refusant de recalculer le résultat des élections, il dissuaderait les républicains de se rendre aux urnes pour le second tour des élections sénatoriales de mardi. Trump se dit confiant pour les prochaines élections de mi-mandat Si les deux candidats démocrates l'emportent, il y aura un nombre égal de sénateurs républicains et démocrates, et Kamala Harris, en tant que vice-président élu, aura une voix prépondérante. Les démocrates de M. Biden contrôlent déjà la Chambre basse des représentants. Dimanche, M. Trump a tweeté que M. Raffensperger n'avait pas donné de détails sur la fraude dénoncée par le président. \"Il n'a aucune idée !\" a tweeté le président. M. Raffensperger a répondu par un tweet : \"respectueusement, le président Trump : ce que vous dites n'est pas vrai. La vérité va sortir.\" La Maison Blanche n'a pas commenté la diffusion de l'audio. Le sénateur Dick Durbin, un démocrate, accuse M. Trump d'être \"déséquilibré et dangereux\" et que son appel à M. Raffensperger ne mérite \"rien de moins qu'une enquête criminelle\". Le républicain modéré Adam Kinzinger a également tweeté : \"c'est absolument épouvantable. Chaque membre du Congrès qui envisage de s'opposer aux résultats des élections ne peut le faire - à la lumière de cela - en toute bonne conscience\". Anthony Zurcher, Reporter BBC en Amérique du Nord. Analyse par Anthony Zurcher, Reporter Amérique du Nord Dans les dernières semaines de sa présidence, Donald Trump se bat pour trouver des moyens de s'accrocher au pouvoir. Son dernier acte a été de réprimander, de supplier et de menacer le secrétaire d'État de Géorgie pour qu'il \"trouve\" les votes nécessaires pour faire passer l'État dans sa colonne. Peu importe qu'il n'y ait aucune preuve crédible de fraude substantielle. Peu importe que la Géorgie ait compté, puis recompté, puis recompté à nouveau les bulletins de vote et n'ait trouvé aucune disparité majeure. Peu importe que l'État contrôlé par les républicains ait certifié ses résultats électoraux et, même si la Géorgie se retournait, cela ne suffirait pas pour réélire Trump. Lire aussi : La teneur de l'appel de M. Trump suggère qu'il ne se contente pas de manœuvrer pour le pouvoir post-présidentiel ou d'essayer d'augmenter sa collecte de fonds, cependant. Il semble croire fermement qu'il a gagné et il est prêt à utiliser tous les outils, dont certains sont d'une légalité douteuse, pour pousser les fonctionnaires de l'État à faire basculer l'élection en sa faveur. Cet appel rappelle la conversation de Trump avec le président ukrainien Volodymyr Zelinsky, où il avait fait pression sur un dirigeant étranger et l'avait cajolé pour obtenir une aide politique. Ce contact a abouti à la mise en accusation de Trump. L'impudence de l'appel de Trump le samedi pourrait rendre plus difficile pour le président de rallier un soutien politique à sa cause. Les temps désespérés du président ont conduit aux mesures les plus désespérées. Quand le résultat de l'élection sera-t-il certifié ? Le parti républicain est de plus en plus divisé après que 11 sénateurs ont déclaré qu'ils ne voteraient pas pour certifier la victoire de M. Biden lors d'une session du Sénat le 6 janvier. Ted Cruz a pris la tête du groupe de sénateurs, demandant un délai de 10 jours pour vérifier les allégations non fondées de fraude électorale. Le vice-président Mike Pence - qui, en tant que président du Sénat, doit superviser la session et déclarer M. Biden vainqueur - a déclaré qu'il se félicitait de cette décision. Il n'a pas répété les allégations de fraude, mais son chef de cabinet a déclaré que M. Pence partageait ce qu'il appelle \"les préoccupations de millions d'Américains concernant la fraude et les irrégularités électorales\". Entre-temps, quatre sénateurs républicains, dont Mitt Romney, ont signé une déclaration dans laquelle ils affirment qu'ils voteront pour certifier la victoire de M. Biden. Lire aussi : Les responsables républicains ont déclaré que le rôle du Sénat dans la certification de l'élection est en grande partie cérémonial et ne devrait pas être l'occasion d'un long débat sur le résultat. Le leader de la majorité au Sénat, Mitch McConnell, a déjà reconnu la victoire de M. Biden et a demandé aux autres républicains de ne pas s'y opposer. Un groupe de républicains de la chambre basse du Congrès, la Chambre des représentants, prévoit également de contester les résultats de l'élection. Dimanche, un nouveau Congrès s'est réuni pour la première fois, avec la prestation de serment des sénateurs et des représentants. La démocrate Nancy Pelosi a été réélue de justesse à la présidence de la Chambre des Représentants. Que se passera-t-il le 6 janvier ? Les objections qui sont approuvées par un membre de la Chambre des représentants et un membre du Sénat doivent être examinées par le législateur au cours d'un débat de deux heures, suivi d'un vote. Toutefois, pour qu'une objection soit retenue, une majorité des deux chambres doit voter en sa faveur. Les républicains détiennent la majorité au Sénat, mais certains d'entre eux ont déjà déclaré qu'ils ne contesteraient pas les résultats. Les démocrates sont majoritaires à la Chambre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48611005", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48608574", "doc1": "হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিচ্ছেন আলমাজ ডেরেস। পশ্চিম ইথিওপিয়ার মেতু অঞ্চলে ২১ বছর বয়সী এই নারীর নাম আলমাজ ডেরেস। তিনি আশা করেছিলেন সন্তান প্রসবের আগেই তিনি হয়তো পরীক্ষা শেষ করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু রমজান মাসের কারণে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রসবের ব্যথা উঠলে সোমবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেদিনই তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে তিনি সন্তান প্রসব করেন এবং তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হলে তিনি হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষার খ��তায় উত্তর লিখতে শুরু করে দেন। মিজ আলমাজ বলেছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় পড়ালেখা করতে তার তেমন অসুবিধা হয়নি। তবে তার জীবনের এরকম একটি ঘটনার কারণে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকেও তিনি বিরত থাকতে চাননি। তিনি বলেছেন, তাহলে তাকে আরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হতো। পরীক্ষার সময় একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। সোমবার তিনি তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- ইংরেজি, আমহেরিক এবং গণিত। বাকি পরীক্ষাগুলো তিনি আগামী দুদিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েই দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। \"পরীক্ষায় বসার জন্যে আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম। বাচ্চা জন্ম দেওয়াটা খুব একটা কঠিন ছিল না,\" বলেন তিনি। তার স্বামী টেডেস টুলু বলেছেন, এরকম অবস্থায় স্ত্রীর স্কুল যাতে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সেজন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছিলেন। ইথিওপিয়াতে পড়ালেখা শেষ করার আগেই ছাত্রীদের স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা। মিজ আলমাজ বলছেন, তিনি এখন দুই বছরের একটি কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহী এবং এর পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে চান। তিনি খুব খুশি যে তার পরীক্ষা ভাল হয়েছে। একই সাথে তার নবজাতক শিশুটিও ভাল আছে।", "doc2": "Almaz Derese a passé trois examens à l'hôpital Karl Mettu dans l'ouest de l'Ethiopie Almaz Derese, âgée de 21 ans et originaire de Metu, dans l'ouest de l'Ethiopie, espérait passer les tests avant la naissance de son bébé, mais les examens du secondaire ont été reportés à cause du Ramadan. Elle était en travail le lundi peu avant le début du premier examen. Mme Almaz a déclaré que le fait d'étudier pendant sa grossesse n'était pas un problème et qu'elle ne voulait pas attendre l'année prochaine pour obtenir son diplôme. Elle a passé ses examens d'anglais, d'amharique et de mathématiques à l'hôpital le lundi et passera ses autres examens au centre d'examen au cours des deux prochains jours. A lire aussi Une femme reprend connaissance après 27 ans de coma Cinq habitudes qui retardent la carrière des femmes Une femme qui ne ressent pas la douleur physique L'examen s'est fait sous surveillance \"Parce que je me précipitais pour passer l'examen, mon travail n'a pas été difficile du tout \", a déclaré Mme Almaz à la BBC. Son mari, Tadese Tulu, a dit qu'il devait persuader l'école de lui permettre de passer les examens à l'hôpital. En Éthiopie, il est courant que les filles abandonnent l'école secondaire et y retournent plus tard pour terminer leurs études. Mme Almaz veut maintenant suivre un cours de deux ans qui la préparera à l'université. Elle a dit qu'elle était satisfaite du déroulement des examens et que son fils allait bien. Paige, la femme qui a suivi son rêve"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51337297", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-39435738", "doc1": "ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষণ গণনা করা হয়। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায়। এসময় একদিকে যেমন উদযাপন অনুষ্ঠিত হয় তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা। স্কটল্যান্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, স্কটল্যান্ড গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দ��য়েছিল। এদিকে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে পার্টি করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা। বরিস জনসন প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন: \"অনেকের জন্য এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর আশা জাগানিয়া মূহুর্ত, এমন একটি মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি।\" \"আর অনেকেই রয়েছে যারা এক ধরণের ক্ষতি এবং শঙ্কা অনুভব করছেন।\" \"তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছে-আর তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি- যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে পুরো এই রাজনৈতিক গোলযোগ কখনো শেষ হবে না।\" \"আমরা এই সব অনুভূতিই বুঝি এবং সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্বটাও বুঝি-আমার দায়িত্ব হচ্ছে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।\" তিনি বলেন যে, \"ইইউ তার সব শক্তিমত্তা এবং প্রশংসনীয় গুণাবলী দিয়ে গত ৫০ বছরে এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যা আর এই দেশের জন্য উপযুক্ত নয়।\" সামাজিক মাধ্যমে জাতীর উদ্দেশ্যে এক বার্তা দেন বরিস জনসন \"আজ রাতে বলার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে এটাই যে, এটা কোন শেষ নয় বরং শুরু মাত্র,\" তিনি বলেন এবং \"এটি প্রকৃত জাতীয় নবায়ন এবং পরিবর্তনের একটি মুহূর্ত।\" যুক্তরাজ্যে এই মুহূর্তটি কেমন ছিল? আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ ত্যাগের ক্ষণ গণনা চলে এবং পুরো দেশ জুড়ে পাব এবং সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেক্সিট উদযাপন করতে পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। সেসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গায় এবং নাইজেল ফারাজের মতো শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থীদের বক্তৃতায় সমর্থন দিয়ে আনন্দ করে। পার্লামেন্ট স্কয়ারে উল্লাস করে ব্রেক্সিটপন্থীরা ব্রেক্সিট পার্টির নেতা বলেন: \"আজ আমরা এমনভাবে উদযাপন করবো যেমনটা এর আগে আর কখনো করিনি।\" \"এই মহান জাতীর আধুনিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় মুহূর্ত।\" এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীরা হোয়াইটহলে বিক্ষোভ করে এবং ইউনিয়নকে \"আন্তরিক বিদায়\" জানায়। স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিট বিরোধী র‍্যালী এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক জানানো হয়। মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দিনটিতে আরো যেসব উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড হয়েছে সেগুলো হলো: •ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনিয়ন পতাকা সরিয��ে ফেলা হয়। •সান্ডারল্যান্ড-প্রথম শহর যেখান থেকে ২০১৬ সালের গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রথম সমর্থন এসেছিল, সেখানে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। •১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একটি লাইট শো হয় এবং মলগুলোর বাইরে ইউনিয়ন পতাকা টাঙানো হয়। •এই মুহূর্তটিকে চিহ্নিত করতে ৫০ পেন্সের নতুন একটি মুদ্রা ছাড়া হয়। ডোভারের হোয়াইট ক্লিপসে ইউরোপ-পন্থী একটি দল একটি বার্তা তুলে ধরে নর্দান আয়ারল্যান্ডে, বর্ডার কমিউনিটি নামে ব্রেক্সিট বিরোধী একটি প্রচারণা গ্রুপ আয়ারল্যান্ডের কাছে আরমাঘ নামে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ করে। ঠিক ১১টার সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন ইইউ এর একটি পতাকার ছবি টুইট করেন এবং বলেন: \"স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপের কেন্দ্রে ফিরে আসবে স্কটল্যান্ড।\" স্কটল্যান্ডের জন্য একটি বাতি জ্বালিয়ে রাখুন বা #লিভ এ লাইট অন ফর স্কটল্যান্ড উল্লেখ করে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। কার্ডিফে ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন, ওয়েলস ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিলেও এটি একটি \"ইউরোপীয় জাতি\" হয়েই থাকবে। আরো পড়তে পারেন: ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতা, তবুও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ প্রধানমন্ত্রী জনসন কি রানিকে বিভ্রান্ত করেছেন স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শূন্যতা অনুভব করার কথা জানিয়ে র‍্যালী করে ইইউ পন্থীরা এখন কী হবে? যুক্তরাজ্য যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেই- তা এই মুহূর্তে খুব কম টের পাবে দেশটির নাগরিকরা। ইইউ এর বেশিরভাগ আইন বলবত থাকবে- যার মধ্যে রয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ যখন পরিবর্তনের সময় বা ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে তার আগ পর্যন্ত জনগণের মুক্ত চলাফেরা। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ধাপ কানাডার সাথে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সম্পর্কের মতোই যুক্তরাজ্য ইইউ এর সাথে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক করেছে যে সময় সীমা শেষ হওয়ার আগে চুক্তি করতে বেশ বেগ পেতে হবে যুক্তরাজ্যকে। ইউরোপ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকে ব্রিটিশ পতাকা সরিয়ে নেয় কর্মকর্তারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরস���লা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, বাণিজ্য আলোচনায় ব্রিটেন এবং ব্রাসেলস তাদের নিজ নিজ অধিকারের পক্ষে লড়াই করবে। তিনি যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান \"যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবদান রেখেছে এবং একে শক্তিশালী করায় ভূমিকা রেখেছে\" এবং বলেন, ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের শেষ দিনটি ছিল \"আবেগময়\"। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন: \"৭০ বছরের মধ্যে প্রথম মাঝ রাতে একটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে।\" \"এটি একটি ঐতিহাসিক সতর্ক সংকেত যা আমাদের সব দেশের শোনা উচিত।\" ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সতর্ক করে বলেন: \"যুক্তরাজ্য ইইউ'র মান থেকে যত দূরে সরে যাবে, একক বাজারে এর প্রবেশাধিকার তত কমবে।\" ব্রেক্সিট পার্টির এমইপিরা একজন ব্যাগপাইপারের পেছনে পেছনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে? যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন: \"আমি আনন্দিত যে, ব্রিটিশ নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইউকে এবং ইইউ একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।\" \"যুক্তরাজ্যের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরু থেকে আমরা তাদের সাথে শক্তিশালী, উৎপাদনশীল এবং সমৃদ্ধ সম্পর্ক গড়ে তোলা অব্যাহত রাখবো।\" যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত উডি জনসন বলেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের \"দীর্ঘ সমর্থন\" রয়েছে। এক বিবৃতিতে মিস্টার জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে আমেরিকার \"বিশেষ সম্পর্ক\" \"ব্রিটেন যে নতুন যুগের সূচনা করছে সেখানে আরো সমর্থন করবে, বিকশিত এবং শক্তিশালী হবে।\" ব্রাসেলসের গ্র্যান্ড প্লেস ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার রঙে আলোকিত করা হয় বেলজিয়াম এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করতে। এখানে কীভাবে পৌঁছালো ব্রিটেন? তৃতীয়বারের চেষ্টায় ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটিতে যোগ দেয় ব্রিটেন। এর দুই বছর পর এক গণভোটে এই জোটে থাকার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন আসে। নিজের দলের এমপি এবং নাইজেল ফারাজের ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির অব্যাহত চাপের মুখে ২০১৬ সালের জুনে কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ নিয়ে আরেকটি গণভোটের আয়োজন করেন। মিস্টার ক্যামেরন ইইউ-তে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালান কিন্তু আরেক কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে প্রচারণার মুখে খুবই কম ভোটে হেরে যান তিনি। ইউরোপের পক্ষে পড়ে ৪৮ভাগ ভোট আর বিপক্ষে পরে ৫২ভাগ ভোট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিস্টার ক্যামেরনের উত্তরসূরি টেরিজা মে, তার তৈরি করা ইইউ ছাড়ার চুক্তি পার্লামেন্টে প্রাথমিকভাবে পাস করালেও তা চূড়ান্ত করাতে বার বার ব্যর্থ হন এবং পরে তার জায়গায় আসেন মিস্টার জনসন, যিনি নিজেও তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারেননি। গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে ৮০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছিলেন মিস্টার জনসন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, \"ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন\" করবেন তিনি। ক্রিসমাসের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তিতে অনুমোদন দেন এমপিরা এবং সেই বিলটি চলতি বছরের শুরুর দিকে আইনে পরিণত হয়।", "doc2": "Theresa May, le Premier ministre britannique au moment d'aller faire une déclaration à la Chambre des Communes La décision est officialisée par la lettre remise mercredi par le Premier ministre Theresa May au président du Conseil européen, Donald Tusk. Ceci, neuf mois après que le Royaume-Uni ait voté pour sortir de l'Union européenne lors d'un référendum. Cette remise solennelle a été suivie par une déclaration de Mme May à la Chambre des communes, où elle a signalé que \"le moment était venu pour le pays de se réunir\". Theresa May, la Première ministre britannique La prochaine étape L'opérationnalité du Brexit va dépendre en réalité des pourparlers qui seront entamés avec les responsables de l'Union européenne. Mais le grand défi va commencer à partir de mai ou juin, quand les négociations avec d'autres pays de l'UE devront commencer. Ces consultations vont se poursuivre jusqu'à l'automne prochain. Ensuite, les députés de Westminster, le Conseil européen de Bruxelles et le Parlement européen obtiendront chacun un vote sur tout accord convenu. La date de retrait Le délai prévu à l'article 50 est de deux ans - et cela ne peut être prolongé que par l'accord unanime de tous les pays de l'UE. Si aucun accord n'est conclu en deux ans et qu'aucune prorogation n'est convenue, le Royaume-Uni quitte automatiquement l'UE et tous les accords existants (y compris l'accès au marché unique) cesseront d'y être appliqués. Tout ce qu'il faut savoir sur l'article 50 Le drapeau de l'Union européenne au siège de la commission à Bruxelles L'article 50 est le plan pour tout pays qui souhaite quitter l'UE. 1. Tout État membre peut décider, conformément à ses règles constitutionnelles, de se retirer de l'Union. 2. L'État membre qui décide de se retirer notifie son intention au Conseil européen. À la lumière des orientations du Conseil européen, l'Union négocie et conclut avec cet État un accord fixant les modalités de son retrait, en tenant compte du cadre de ses relations futures avec l'Union. Cet accord est négocié conformément à l'article 218, paragraphe 3, du traité sur le fonctionnement de l'Union européenne. Il est conclu au nom de l'Union par le Conseil, statuant à la majorité qualifiée, après approbation du Parlement européen. 3. Les traités cessent d'être applicables à l'État concerné à partir de la date d'entrée en vigueur de l'accord de retrait ou, à défaut, deux ans après la notification visée au paragraphe 2, sauf si le Conseil européen, en accord avec l'État membre concerné, décide à l'unanimité de proroger ce délai. 4. Aux fins des paragraphes 2 et 3, le membre du Conseil européen et du Conseil représentant l'État membre qui se retire ne participe ni aux délibérations ni aux décisions du Conseil européen et du Conseil qui le concernent. La majorité qualifiée se définit conformément à l'article 238, paragraphe 3, point b), du traité sur le fonctionnement de l'Union européenne. 5. Si l'État qui s'est retiré de l'Union demande à adhérer à nouveau, sa demande est soumise à la procédure visée à l'article 49."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54788555", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55485436", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বা��নে ঘটেছে অনেক নাটকীয় ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা অন্য সব দেশের চেয়ে বেশ আলাদা। তবে সবসময়েই এই নির্বাচন সরলভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রায় আড়াইশো বছরের মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ এবং নাটকীয় ঘটনা। ইতিহাস থেকে এখানে সেরকম কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো: দুই বছর ধরে ভোটগ্রহণ নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভস তথ্য অনুযায়ী, সদ্য তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ী ১৭৮৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৭৮৯ সালের ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত, ২৫ দিন ধরে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই একবারই দুই ক্যালেন্ডার বছরজুড়ে নির্বাচন হয়েছিল। তখনকার ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোট ছিল ৬৯টি, এখন যা ৫৩৮টি। তখনকার নিয়ম অনুযায়ী, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব অনুসারে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ প্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন। প্রত্যেক ইলেকটর আলাদা দুইজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একটি করে ভোট দিতেন। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, এরপরে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তখন একেকটি অঙ্গরাজ্যে একেকভাবে ইলেকটর নির্বাচন করা হতো। যেমন পাঁচটি রাজ্যে আইন প্রণেতারা তাদের নির্বাচিত করতেন, বাকি ছয়টি রাজ্যে খানিকটা বেশি ভোটের ভিত্তিতে তাদের নির্বাচন করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা হিসাবে জর্জ ওয়াশিংটন সবগুলো ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জন অ্যাডামস ৩৪টি ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। হোয়াইট হাউজ সমান ভোট ১৮০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, প্রথমবারের মতো দলগতভাবে সেখানে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন এবং অ্যারন বার। আর ফেডারেলিস্টদের প্রার্থী ছিলেন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস আর চার্লস সি পিঙ্কনি। রিপাবলিকানরা চাইছিলেন যে, তাদের দুই প্রার্থীর মধ্যে জেফারসন কিছু ভোট বেশি পাবেন আর অ্যারন বার একটি হলেও কম। তাহলে একজন প্রেসিডেন্ট, আরেকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে দুইজনের ভোট সমান, ৭৩ ভোট হয়ে ���ায়। কারণ তখনো নির্বাচকরা দুইটি করে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন। ফলে কে প্রেসিডেন্ট হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার গিয়ে পড়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের ওপর। যেখানে সেই সময়ের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের একটি করে ভোট। বিজয়ী হতে হলে একজনকে অন্তত নয়টি রাজ্যের ভোট পেতে হবে। কিন্তু জেফারসন আটটি অঙ্গরাজ্যের ভোট পান। কারণ তার বিরোধী ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিরা অ্যারন বারকে সমর্থন করেছিল। সাতদিন ধরে ৩৫ দফা ভোটাভুটিতেও কোন সমাধান আসেনি। শেষ পর্যন্ত অ্যালেকজান্ডার হ্যামিলটন কয়েকজন ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিকে জেফারসনকে সমর্থন করাতে রাজি করাতে সক্ষম হন। টমাস জেফারসন প্রেসিডেন্ট হন আর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান অ্যারন বার। সেই নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী আনা হয় যে, প্রত্যেক ইলেকটরকে আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? জো বাইডেন: এবারের দৌড় হোয়াইট হাউসের জন্য দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে প্রথম নির্বাচন পরবর্তীতে আরও দুইবার হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়েছে। ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে চারজন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন। তাদের মধ্যে অ্যান্ড্রু জ্যাকসন সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট)। অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজেও তিনি বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ইলেকটোরাল কলেজের যতগুলো ভোট দরকার, তা তিনি পাননি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তায় হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের ওপর, যাকে বলে 'কনটিনজেন্ট ইলেকশন'। কংগ্রেসম্যানরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন আর সেনেটররা নির্বাচন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভ সদস্যরা তাদের মোট প্রতিনিধির হিসাবে নয়, একেকটি অঙ্গরাজ্যের ���িসাবে একটি করে ভোট দেবেন। সেই ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন জন কুইন্সি অ্যাডামস। কারণ নির্বাচনে চতুর্থ হওয়া (হাউজ স্পিকার) হেনরি ক্লের সমর্থকরা অ্যাডামসকে ভোট দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একমাত্র সেবারই সাধারণ ভোট ও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাধিক্য থাকার পরেও পরাজিত হয়েছিলেন কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। এরপরে অবশ্য ১৮৩৬ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত হয়েছিল সেনেটের ভোটে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচনের পরে গৃহযুদ্ধ ১৯৬০ সালের নির্বাচনের সময় রিপাবলিকানরা দাসপ্রথা অবসানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে দক্ষিণের রাজ্যগুলো ছিল দাসপ্রথার পক্ষে। রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট পদে আব্রাহাম লিঙ্কনকে মনোনয়ন দেয়। তবে ডেমোক্র্যাটরা স্টিফেন এ ডগলাসকে মনোনয়ন দেন। দক্ষিণের ডেমোক্র্যাটরা আলাদাভাবে মিলিত হয়ে ব্রেকিংরিজকে তাদের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে। কন্সটিটিউশনাল ইউনিয়ন পার্টি নামের আরেকটি নতুন দল জন বেলকে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। উত্তরের সব রাজ্যে ভোট পেয়ে লিঙ্কন নির্বাচিত হন। দক্ষিণের সবগুলো রাজ্যের ভোট পান ব্রেকিংরিজ। নির্বাচনের ফলাফলের ভেতর দিয়ে যেন উত্তর আর দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মতভেদ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এর পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়, আরও ছয়টি রাজ্য তাদের অনুসরণ করে। ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসব রাজ্য মিলে জেফারসন ডেভিসকে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। পরে আরও চারটি রাজ্য তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। শুরু হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ। কমিশন করে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ ১৯৭৬ সালের নির্বাচনকে বলা হয় আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচন। রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করেছিল রাদারফোর্ড বি হেইসকে আর ডেমোক্র্যাটরা মনোনীত করেছিল স্যামুয়েল জে টিলডেনকে। নির্বাচনে মি. টিলডেন মি. হেইসের চেয়ে দুই লাখের বেশি ভোট পান। ইলেকটোরাল কলেজের ভোটও তিনি পেয়েছিলেন ১৮৪টি, আর মি. হেইস পান ১৬৫টি। নির্বাচিত হওয়ার জন্য মি. টিলডেনের দরকার ছিল এক ভোট আর হেইসের দরকার ছিল ২০টি ভোট। বাকি যে ২০টি ভোট ছিল, উভয় দলই দাবি করেছিল যে, সেগুলো তারা পেয়েছে। কিন্তু এই ভোট কাদের ঘরে যাবে? সংকট সমাধানের জন্য একটি আইন পাস করে ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিশন গঠন করা হয়, যার মধ্যে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের পাঁচজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন সদস্য থাকবেন। তবে সেখানেও দেখা যায়, কংগ্রেসের সদস্য আর বিচারপতি মিলিয়ে রিপাবলিকান হয়ে গেছেন আটজন আর ডেমোক্র্যাট সাতজন। শেষ পর্যন্ত কমিশনের ৮-৭ ভোটের ব্যবধানে ২০টি ইলেকটোরাল ভোট মি. হেইসকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ১৮৫-১৮৪ ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাদারফোর্ড বি হেইস। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিদ্ধান্ত ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট আল গোর পেয়েছিলেন ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোট আর রিপাবলিকান বুশ পেয়েছিলেন ২৪৬ভোট। শুধুমাত্র ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ২৫টি ভোট বাকি ছিল। সেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান এতো কম ছিল, যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে ভোট গণনা চলছিল। সেই সময় ফ্লোরিডার গভর্নর ছিলেন জর্জ বুশের ভাই জেব বুশ। ২৬শে নভেম্বর তিনি ঘোষণা দেন, ফ্লোরিডার ইলেকটোরাল ভোট জর্জ বুশের পক্ষে যাচ্ছে। পুনরায় গণনার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট ৫-৪ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে ভোট পুনঃগণনা বন্ধের আদেশ দিয়ে বুশকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করার রায় দেন। বেশি ভোট পেয়েও পরাজয় বেশি ভোট পাওয়ার পরেও কোন প্রার্থীর পরাজয়ের ঘটনা সেটাই শেষ ছিল না। ১৮৭৬ সালে, ১৮৮৮ সালে, ২০০০ এবং ২০১৬ সালে যে প্রার্থী জনগণের ভোট বেশি পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট), ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি। অনেকবার ইলেকটোরাল কলেজের ভোটিং পদ্ধতির বাইরে জনভোটের বিচারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তাব আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসে, কিন্তু কোনবারই তা পাশ হয়নি। নভেম্বরের মঙ্গলবার আগে নানা দিনে ও অনেক সময় ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৮৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি বিল পাস করা হয়, যেখানে নির্ধারণ করে দেয়া হয় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। এর আগে ডিসেম্বর মাসের প্রথম বুধবারের আগের ৩৪ দিনের যেকোনো সময় রাজ্যগুলো ভোটাভুটি করতে পারতো। কিন্তু আগাম ফলাফল জেনে যাওয়ার কারণে, যেসব রাজ্যে পরে নির্বাচন হতো, সেখানে প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা দিতো। এ কারণে নতু��� আইনটি পাস করা হয়। কিন্তু নভেম্বর মাসের মঙ্গলবারেই কেন? ইতিহাসবিদ ইভান অ্যান্ড্রুসের তথ্য অনুযায়ী, সেই সময়ে বেশিরভাগ আমেরিকান কৃষিকাজ করতো এবং নির্বাচন কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বসবাস করতো। রবিবার সবাই গির্জায় সময় কাটাতো আর বুধবার ছিল কৃষকদের বাজারের দিন। এ কারণে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয় যাতে কৃষকরা রবিবারের প্রার্থনার পর সোমবার ভোটের জন্য রওনা দিতে পারেন। আবার মঙ্গলবার ভোট দিয়ে তারা হাট করে ফিরতে পারেন। আর নভেম্বর মাস? বসন্ত এবং গ্রীষ্মের সময়টায় ফসল বোনা হয়। সেই সময়ে নির্বাচন হলে চাষাবাদে সমস্যা তৈরি করে। আবার হেমন্তে ফসল তোলার সময়। নভেম্বর মাস নাগাদ কৃষকদের ফসল তোলা শেষ হয়ে যায়। আবার কঠিন, প্রচণ্ড শীত নামার আগে এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আইন প্রণেতারা নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলেন। আরো খবর: অস্ট্রিয়ায় বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী 'সন্ত্রাসী' হামলা ধর্ম অবমাননার গুজবে সহিংসতা, সরকার পরিস্থিতিকে যেভাবে দেখছে বাংলাদেশে সরকারিভাবে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন যারা মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়ের বিয়ে রুখতে আইন চাইছে বিজেপি মৃত যমজ সন্তানদের বুকে নিয়ে বিচার চাইতে আদালতে গেলেন পিতা", "doc2": "Donald Trump perdra son immunité présidentielle lorsqu'il quittera son poste. Le président élu se plaint que son équipe ne reçoit pas les informations dont elle a besoin pour une passation de pouvoir en douceur, tandis que le président toujours en exercice partage sur les réseaux sociaux des vidéos de ses réalisations et des allégations non fondées de fraude électorale. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Dans ce contexte, l'une des activités que Trump a entreprises, et qui est courante dans les derniers jours du mandat d'un président, est l'octroi de grâces ou de commutations de peine. La semaine dernière, la veille de Noël, le président a annoncé ces actes de clémence pour des dizaines de personnes, dont plusieurs de ses plus proches alliés, tels que Roger Stone et Paul Manafort. Paul Manafort, ancien directeur de campagne de Trump en 2016 , a été l'un des bénéficiaires de la grâce présidentielle le 23 décembre. D'autres grâces sont attendues d'ici au 20 janvier, date à laquelle Joe Biden prendra ses fonctions. Et certains se demandent si Trump va choisir de s'accorder une grâce présidentielle préventive pour se protéger de toute poursuite contre lui une fois qu'il aura quitté ses fonctions et qu'il aura perdu l'immunité qui le protège actuellement. Une telle concession serait sans précédent, mais peut-il le faire ? Lire aussi : Un chantier inexploré \"Je ne sais pas, personne ne sait, ça n'a jamais été essayé\", répond Steven B. Duke, professeur de droit à l'université de Yale, dans une interview à BBC World. \"Je ne pense pas que je vais le faire, honnêtement. S'il se gracie, il admet virtuellement qu'il a commis un crime fédéral\", ajoute-t-il. Comme le souligne l'universitaire, aucun président ne s'est jamais pardonné et, par conséquent, aucune affaire n'a donné à la Cour suprême la possibilité de se prononcer sur la question. Donald Trump a été battu par Joe Biden lors de l'élection présidentielle du 3 novembre. En l'absence de précédent, les théoriciens se réfèrent à la Constitution américaine pour tenter de parvenir à une conclusion. Dans son article II, la Constitution donne au président le pouvoir \"d'accorder des grâces et des acquittements pour des crimes contre les États-Unis, sauf en cas de mise en accusation. Interprétations contradictoires Les experts qui pensent que le président peut être pardonné soulignent que le texte constitutionnel est rédigé de manière générale et ne contient aucune exception explicite qui empêche l'utilisation ou l'abus de ce pouvoir. Le fait que les fondateurs aient fait une exception spécifique pour les cas de mise en accusation, affirment-ils, implique qu'ils n'ont pas voulu inclure d'autres réserves. Rex Tillerson limogé par Donald Trump Ce point de vue a été défendu en 2018 par Andrew C. McCarthy, membre du conservateur National Review Institute et ancien procureur adjoint du district sud de New York, dans le cadre de l'enquête du procureur spécial Robert Mueller sur l'ingérence russe dans les élections de 2016. Selon McCarthy, les soi-disant pères de la Constitution savaient qu'ils autorisaient l'auto grâce présidentielle lorsqu'ils ont rédigé le texte. \"S'ils avaient voulu empêcher un président de pouvoir bloquer leurs poursuites fédérales, tout comme ils l'ont fait pour leur propre destitution, ils l'auraient fait\", a-t-il soutenu. Le procureur spécial Robert Mueller a enquêté sur les allégations d'ingérence russe dans les élections de 2016. En 2018, il a tweeté qu'il avait le droit absolu de se pardonner, tout en ajoutant qu'il n'aurait pas à l'utiliser puisqu'il n'avait commis aucun crime. D'un autre côté, certains universitaires soutiennent que le mot \"accorder ou conférer\" devrait être interprété comme un acte par lequel une personne donne quelque chose à une autre, de sorte qu'un président ne pourrait pas s'accorder une grâce à lui-même. C'est ce qu'affirme Asha Rangappa, avocat, ancien agent du FBI et professeur à l'université de Yale. \"Savoir si un président peut ou non se gracier lui-même est techniquement une question juridique ouverte, mais l'histoire et les origines de ce pouvoir - qui vient du droit divin des rois - suggèrent qu'il a besoin d'un concédant et d'un bénéficiaire\", explique Rangappa à BBC World. \"Et, en termes pratiques, permettre à un président de se pardonner le placerait au-dessus de la loi, ce qui est incompatible avec le devoir présidentiel de \"veiller à ce que les lois soient fidèlement appliquées\" et avec l'intention des auteurs de la constitution, qui voulaient concevoir un gouvernement fondé sur l'État de droit. Une grâce préventive ? Un autre élément qui attire l'attention dans le débat sur ce que Trump peut et ne peut pas faire est l'utilisation de l'adjectif \"préventif\" pour parler du pardon potentiel de soi. Il a été question de la possibilité pour Trump d'accorder des grâces préventives aux membres de sa famille. Aux États-Unis, la grâce présidentielle peut être accordée avant qu'il n'y ait une accusation ou une condamnation. La Cour suprême l'a établi en 1866 en statuant que le pouvoir de grâce \"peut être exercé à tout moment après la commission du crime, avant même l'action en justice, pendant le procès, ou après la condamnation et le procès. Il est inhabituel qu'un président accorde une grâce préventive avant que des accusations ne soient portées, mais il existe des exemples, le plus célèbre étant la grâce accordée par Gerald Ford à Richard Nixon en 1974, dont nous parlerons plus loin. Et en 1977, lors de son premier jour en fonction, Jimmy Carter a gracié des centaines de milliers d'hommes qui avaient échappé au recrutement pour la guerre du Vietnam et a permis à beaucoup d'entre eux qui s'étaient enfuis au Canada de rentrer chez eux sans crainte de poursuites. Nixon comme référence Bien qu'il n'existe aucun précédent aux États-Unis pour un autopardon présidentiel préventif, M. Trump n'est pas le premier à envisager cette possibilité. Richard Nixon l'a soulevée en 1974, au plus fort du scandale du Watergate. Bien qu'il ait finalement décidé de ne pas le faire, Nixon - qui était avocat - pensait que l'auto grâce était dans ses pouvoirs en tant que président. Richard Nixon finit par démissionner et fut pardonné par son successeur, Gerald Ford. Le bureau du conseiller juridique du ministère de la justice l'a contredit en publiant un rapport qui disait : \"en vertu de la règle fondamentale selon laquelle nul ne peut être juge dans son propre cas, le président ne peut se pardonner. Nixon a choisi de démissionner, et son successeur, Gerald Ford, lui a accordé une grâce préventive \"pour tous les crimes fédéraux qu'il a commis ou aurait pu commettre\" pendant son mandat. Il a ainsi éliminé toute possibilité de poursuites. \"Unis contre Trump\" Hors de portée du pardon Le mot \"fédéral\" dans la grâce accordée par Ford à Nixon est essentiel et affecte également le cas de Trump. La grâce présidentielle ne couvre que les crimes qui relèvent de la loi fédérale et non ceux qui sont du ressort des États. Bien que Trump n'ait pas été formellement accusé d'un quelconque crime, il y a au moins deux enqu��tes en cours par des fonctionnaires de la ville de New York. Le procureur du district de Manhattan, Cyrus Vance, et le procureur général de New York, Letitia James, enquêtent sur un comportement potentiellement criminel lié aux pratiques commerciales de M. Trump avant qu'il ne devienne président. Toute accusation ou condamnation découlant de ces enquêtes, ou de toute autre au niveau local ou étatique, dépasserait le cadre de la grâce présidentielle. Trump a insisté sur le fait qu'il a réussi dans les différentes enquêtes du ministère de la Justice, ainsi que dans la mise en accusation par le Congrès au début de cette année. À cet égard, Steven Duke estime que l'auto grâce peut devenir une arme contre Trump lui-même car il peut mobiliser les procureurs de l'État pour engager des poursuites contre lui. \"Dans ce cas, il sera presque certainement poursuivi au niveau de l'État, peut-être à plusieurs reprises\", dit le professeur de Yale. Différentes options Dans ce contexte, quels sont les options qui restent à Trump pour éviter une éventuelle grâce sans poursuite ? \"Il n' a pas vraiment besoin de se pardonner, car la chose naturelle pour un président serait de parvenir à un accord avec son vice-président : le président démissionne et le vice-président promet de lui pardonner en prenant temporairement la présidence\", déclare Mark Tushnet, professeur émérite de droit à l'université de Harvard . \"Cela pourrait, bien sûr, signifier la fin de l'avenir politique du vice-président, mais dans la situation actuelle, le vice-président [Mike] Pence n'a probablement pas beaucoup d'avenir politique de toute façon\", déclare Tushnet à BBC Mundo. Nous devrons attendre de voir l'attitude du gouvernement de Joe Biden à l'égard d'une éventuelle poursuite de Trump. Pour le professeur Duke, la meilleure option pour Trump est de ne rien faire car il considère qu'il est peu probable que le gouvernement de Biden le poursuive en justice. \"Tout d'abord, le nouveau gouvernement aura du mal à le poursuivre et à obtenir qu'un jury le condamne. N'oublions pas que Trump compte plus de 70 millions de supporters\", déclare Duke. \"Deuxièmement,\" ajoute-t-il, \"Biden insiste sur le fait qu'il veut guérir les relations entre les démocrates et les républicains pour que les choses se fassent. Charger Trump n'aiderait pas cette cause."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44466636", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56167610", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার একটি সমুদ্র সৈকতের ছবি। তাদের মধ্যে হওয়া করমর্দন থেকে শুরু করে তাদের যৌথ সমঝোতায় স্বাক্ষর - সবকিছু থেকেই বিশ্লেষকরা দেখার চেষ্টার করছেন এই আলোচনায় আসলে কতোটা কী অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও বা এই সমঝোতার তাৎপর্য কী? কিন্তু সেদিনের কিছু বিষয় ও ঘটনা ছিল, যা নিয়ে লোকজন প্রচুর কথাবার্তা বলছেন। ঠিক কী ঘটেছিল তখন? ১. সমুদ্র সৈকত প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিচিত ছিলেন একজন প্রপার্টি ব্যবসায়ী হিসেবে। তারপরেও এটি বিস্ময়কর যে কেন তিনি উত্তর কোরিয়ার অপরিচিত সমুদ্র উপকূলের কথা উল্লেখ করেছেন। মি. কিমের সাথে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, \"তাদের (উত্তর কোরিয়া) দারুণ কিছু সমুদ্র সৈকত আছে। তারা যখন সমুদ্রে তাদের কামান থেকে বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন আপনারা সেসব দেখতে পান। সেখানে কি দারুণ সব বাড়িঘর বা কন্ডো হতে পারে না?\" যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার নাগরিকদেরকে উত্তর কোরিয়ায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এবং বলেছে, যেসব নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা যেন যাওয়ার আগে উইলের খসড়া করে য���ন। ২. পোজ বা ভঙ্গি দুই নেতা যখন একসাথে দুপুরের খাবার খেতে যান, মি. ট্রাম্প তখন খাবারের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সকৌতুকে জিজ্ঞেস করেন:\"ভালো ছবি পাচ্ছেন, সবাই? যাতে আমাদেরকে সুন্দর, হ্যান্ডসাম এবং চিকন দেখায়?\" তবে তার এই কথার অর্থ মনে হয় অনুবাদের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল। কারণ মি. কিমের চোখেমুখে তখন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফটোসাংবাদিকদের কাছে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে সুন্দর দেখাচ্ছে কিনা। আরো পড়তে পারেন: প্রিয়াঙ্কার পর এবার এক মুসলিম লেখককে আক্রমণ সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? প্রবাসী আয়ে করারোপ: সরকার মনে করছে চক্রান্ত ৩. ভিডিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদেরকে চার মিনিটের একটি ভিডিও দেখানো হয়। এটি খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। ভিডিওটি ছিল কোরীয় এবং ইংরেজি ভাষায়। সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প বলেছেন যে এই ভিডিওটি তিনি কিম জং-আনকে দেখিয়েছেন। ভিডিওটিতে এমন কিছু দৃশ্য আর মিউজিক যোগ করা হয়েছে যাতে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। এর ধারাভাষ্য দিচ্ছেন যিনি, নাটকীয় কণ্ঠে তিনি জিজ্ঞেস করছেন: \"এই নেতা কি তার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে কাজ করবেন ... তিনি কি শান্তির সাথে হাত মিলিয়ে সমৃদ্ধি উপভোগ করবেন, যে সমৃদ্ধি তিনি আগে কখনো দেখেননি?\" সাংবাদিকদের যে ভিডিওটি দেখানো হয় তার একটি স্থির চিত্র। ৪. দ্য বিস্ট আলোচনার পর মি. ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার কালো রঙের লিমুজিন গাড়িটি দেখাবেন। গাড়িটি পরিচিত 'দ্য বিস্ট' নামে। ক্যামেরা তখন দুই নেতাকে অনুসরণ করলো। তারা হেঁটে গেলেন গাড়ির দিকে। মি. কিম খুব অল্প সময়ের জন্যে গাড়ির ভেতরটা দেখলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মি. কিমকে তার গাড়িটি দেখালেন। ৫. কলম সমঝোতায় সই করার জন্যে টেবিলের উপর যে কলমটি রাখা ছিল সেটি ছিল কালো রঙের। তার গায়ে ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর, সোনালী রঙের। উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা কলমটি পরীক্ষা করে দেখছেন। কিন্তু এই কলমে সই করেননি মি. কিম। একেবারে শেষ মুহূর্তে মি. কিমের প্রভাবশালী বোন কিম ইউ-জং তার ভাই-এর দিকে একটি বলপয়েন্ট কলম এগিয়ে ধরেন, যা দিয়ে তিনি চুক্তিতে সই করেছেন। পুরো সফরেই উত্তর কোরিয়ার নেতার নি��াপত্তার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কলমটি কি রাজনৈতিক না-কি নিরাপত্তার কারণে বদলানো হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার নয়। সংবাদ মাধ্যমে এও খবর বেরিয়েছে যে মি. কিম তার সাথে করে একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? বলা হচ্ছে, যাতে মি. কিমের মলমূত্র থেকে কেউ তার সম্পর্কে জৈব-তথ্য বের করে ফেলতে না পরে। অবশ্য এই খবরটি বিবিসি যাচাই করে দেখতে পারেনি।", "doc2": "Le sommet de Hanoi en février 2019 n'a pas atteint les résultats escomptés. Dans la série Trump Takes On the World, produite par la BBC et réalisée par Tim Stirzaker, nous découvrons de nouveaux détails sur le déroulement de ces réunions et nous parlons à ceux qui y ont assisté. Ce qu'ils ont vu a surpris même les diplomates les plus chevronnés, notamment lorsque Trump a proposé au dictateur nord-coréen de le ramener chez lui à bord d'Air Force One, l'avion présidentiel américain. Le deuxième sommet de Trump avec Kim Jong-un, qui s'est tenu à Hanoi, au Vietnam, ne s'est pas déroulé comme prévu. Lorsque les négociations sur le programme nucléaire de la Corée du Nord ont échoué, Trump est parti brusquement, disant aux journalistes : \"parfois, il faut marcher.\" A ne pas manquer sur BBC Afrique : Mais avant son départ, le président américain de l'époque a fait à Kim une offre étonnante. Matthew Pottinger, le plus grand expert asiatique du Conseil national de sécurité de Trump, explique : \"le président Trump a proposé à Kim de le ramener chez lui à bord d'Air Force One. Le président savait que Kim était arrivé à Hanoï par un train de plusieurs jours qui traversait la Chine et le président a dit : \"je peux vous ramener chez vous en deux heures, si vous voulez\". Kim a refusé. Une \"erreur spontanée\" L'offre d'un voyage de retour a été l'une des nombreuses surprises dans la relation improbable entre les deux hommes qui a débuté à Singapour lorsque, comme nous l'a dit John Bolton, ancien conseiller à la sécurité nationale de la Maison Blanche, \"Trump pensait avoir un nouveau meilleur ami\". John Bolton affirme que l'annulation des exercices militaires avec la Corée du Sud était \"une concession pour laquelle nous n'avons rien obtenu en retour\". Là, Trump a fait un autre geste qui a surpris sa propre équipe, lorsqu'il a accepté la demande de Kim d'annuler les exercices militaires conjoints entre les États-Unis et la Corée du Sud. \"Kim Jong-un, comme il l'avait fait à de nombreuses reprises dans le passé, s'est plaint des grands exercices conjoints entre les forces sud-coréennes et américaines, qui se déroulaient dans la péninsule coréenne depuis plus de 60 ans\", souligne M. Bolton à la BBC. Trump a dit, sans crier gare : \"je vais annuler les jeux de guerre [comme il les a appelés]. Il n'y a pas besoin d'eux, ils sont chers et ils vous rendront heureux\". Je ne pouvais pas le croire. (Secrétaire d'État) Pompeo, (Chef de cabinet) Kelly et moi étions assis dans la pièce avec Trump et nous n'avons pas été consultés. C'est ce qui vient de sortir de l'esprit de Trump. C'était une erreur spontanée. C'était une concession pour laquelle nous n'avons rien obtenu en retour\", ajoute l'ancien conseiller de la Maison Blanche. Le message secret de Trump à Kim Le fait que la rencontre entre les deux dirigeants ait été une surprise pour beaucoup. Quelques mois auparavant, Trump avait appelé Kim \"l'homme fusée\" et avait menacé la Corée du Nord de \"feu et de fureur\". Dans son discours à l'ONU en 2017, M. Trump a qualifié Kim Jong-un d'\"homme fusée\". Jeff Feltman, sous-secrétaire général des Nations unies aux affaires politiques, décrit comment, au plus fort de la crise, il a transmis un message secret de Trump à Kim proposant une rencontre. Feltman avait été invité à Pyongyang par les Nord-Coréens, mais le Département d'Etat américain lui avait dit qu'ils ne pensaient pas que c'était une bonne idée qu'il y aille. Quelques semaines plus tard, cependant, le secrétaire général des Nations unies, Antonio Guterres, s'est rendu à la Maison Blanche. Donald Trump promet du \"feu et de la fureur\" à Kim Jung-Un \"Ils comparaient leurs notes sur ce qui se passait, ce qui pourrait être possible, à quel point c'était dangereux, à quel point une réponse militaire serait probable, tout ce genre de choses. Et le secrétaire général António Guterres a dit au président Trump : \"Jeff Feltman a reçu cette étrange invitation à se rendre à Pyongyang et à mener un dialogue politique avec les Nord-Coréens\", raconte Feltman. \"Jeff Feltman devrait aller à Pyongyang et Jeff Feltman devrait dire aux Nord-Coréens que je suis prêt à discuter avec Kim Jong-Un\", ajoute-t-il. Feltman rejeté à Pyongyang Lorsque Feltman se rendit à Pyongyang, il souligna aux Nord-Coréens la gravité de la situation. Il nous a dit : \"le principal message que j'ai essayé de faire passer, et ce en réponse à leurs arguments sur la nécessité de la dissuasion, est que ce qu'ils considèrent comme une dissuasion peut provoquer la guerre même qu'ils pensent dissuader\". Le fonctionnaire de l'ONU a demandé une rencontre privée avec le ministre des affaires étrangères de la Corée du Nord pour lui transmettre le message secret de M. Trump. Pour la Corée du Nord, son programme nucléaire est dissuasif. Il y a eu un peu de silence avant que le ministre des affaires étrangères ne dise : \"je ne vous crois pas, pourquoi devrais-je vous croire ? Et j'ai dit : \"écoutez, je ne vous demande pas de me croire. Ce que je vous dis, c'est que l'ONU a été chargée d'apporter un message du président Trump ; je suis le porteur de ce message\", a rappelé M. Feltman. \"Je suis allé à Pyongyang profondément troublé par le sentiment que la guerre était imminente. J'ai quitté Pyongyang terrifié à l'idée que ce que nous risquions vraiment était une guerre accidentelle\", a-t-il ajouté. L'ambassadeur de Corée du Sud stupéfait Kim n'a pas répondu directement au message de Trump, mais des mois plus tard, il a dit aux Sud-Coréens qu'il était prêt à rencontrer le président américain. Le conseiller à la sécurité nationale de la Corée du Sud s'est précipité à la Maison Blanche pour livrer la nouvelle. Selon l'ancien conseiller à la sécurité nationale de la Maison Blanche, H.R. McMaster, l'ambassadeur de Corée du Sud a été surpris lorsque Trump a accepté de rencontrer Kim Jong-un. H.R. McMaster, alors conseiller américain pour la sécurité nationale, décrit le moment où Trump a dit \"oui\" à une réunion : \"L'ambassadeur Chung a failli tomber de sa chaise parce qu'il pensait qu'il allait avoir du mal à accepter\". Comme beaucoup à la Maison Blanche, McMaster avait de sérieuses réserves sur l'idée de rencontrer Kim mais, comme pour une grande partie de la politique étrangère de Trump, le président allait faire ce qu'il voulait. Comme le dit McMaster, \"j'ai pensé qu'il serait préférable de laisser Kim Jong-un ressentir un peu plus la pression. Mais, bien sûr, le président ne résisterait pas à cette opportunité\". Regarder : Qu'est-ce qui a poussé le régime nord-coréen à utiliser les armes nucléaires ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56342818", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56359350", "doc1": "এভাবে সুনামি এসে আঘাত করেছিলেন কেন্দ্রটির দেয়ালে নয় মাত্রার ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে সুনামি তৈরি হয় আর তাতে কার্যত ভেসে যায় হংসু দ্বীপ এবং মারা যায় প্রায় আঠার হাজার মানুষ। বড় ধরণের ঢেউ আঘাত হানে ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং এর পারমানবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে পড়ে পানিতে, যা বড় ধরণের বিপর্যয়ের সূত্রপাত ঘটায়। কর্তৃপক্ষ একটি এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করে যা দিন দিন বড় হতে থাকে, কারণ ওই কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছিল। ফলে আশেপাশের এলাকা থেকে দ্রুত প্রায় দেড় লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়। ওই ঘটনার এক দশক পরেও ওই এক্সক্লুসিভ জোনটি যেমন ছিলো তেমনই আছে এবং সেখানকার বেশিরভাগ অধিবাসী আর ফিরে আসেনি। কর্তৃপক্ষের ধারনা সেখানকার কাজ শেষ করতে অন্তত চল্লিশ বছর সময় লাগবে এবং এর জন্য জাপানের ইতোমধ্যেই ব্যয় হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ইয়েন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? নন্দাদেবী শৃঙ্গে বরফের নিচে কি পারমাণব��ক বোমা লুকানো আছে? পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চুক্তির কি আসলেই 'নতুন অধ্যায়'? ইউএই‘র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : সন্দিহান ইরান-কাতার বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছিলো কেন্দ্রটিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাপানের ফুকুশিমার ওকুমা শহরে যা দেশটির পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় তবে রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। ২০১১ সালের ১১ ই মার্চ স্থানীয় সময় বেলা পৌনে তিনটায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। আঘাত হানার মূল জায়গাটি ছিলো ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ৯৭ কিলোমিটার দুরে সেন্দাই শহরে। ওদিকে সুনামি উপকূলে আঘাত হানার আগে সতর্ক হওয়ার জন্য মাত্র দশ মিনিট সময় পেয়েছিলো সেখানকার অধিবাসীরা। তবে ভূমিকম্প, সুনামি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার কারণে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়েছেন কি-না তা পরীক্ষা করা হয় যা হয়েছিলো ফুকুশিমায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সিস্টেম থেকে ভূমিকম্প চিহ্নিত হয়েছিলো এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ হয়েছিল। তবে কুলিং সিস্টেম চালিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি ডিজেল জেনারেটরগুলো চালু হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় ১৪ মিটার বা ৪৬ ফুট উঁচু ঢেউ ফুকুশিমায় আঘাত হানার পর পুরো কেন্দ্র পানিতে সয়লাব হয়ে যায় এবং জরুরি জেনারেটরগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। কর্মীরা বিদ্যুৎ পুনরায় চালুর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু এর মধ্যেই রিয়েক্টরের মধ্যে পারমানবিক ফুয়েল প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় এবং কোরের একটি অংশ গলে পড়ে। এরপর ওই কেন্দ্রে কয়েকটি রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয় যাতে পুরো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেডিও এক্টিভ উপকরণগুলো লিক হয়ে বেরিয়ে এসে পরিবেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণেই দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয় এবং এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করা হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলো সেখানকার মানুষ কত মানুষ হতাহত হয়েছিলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপর্যয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কেউ মারা যায়নি তবে বিস্ফোরণে কেন্দ্রটির ১৬জন কর্মী আহতে হয়েছিলো। আর রিয়েক্টর নিয়ে যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে রেডিয়েশনে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে কয়েক��নকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ বিপর্যয়ের ক্ষতি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৩ সালে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে বলা হয় ওই বিপর্যয় অঞ্চলটিতে ক্যান্সারের হার বাড়ায়নি। জাপানের ভেতর ও বাইরের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন রেডিয়েশনের ঝুঁকি ছিলো তুলনামূলক কম। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করেন এর বিপদ ছিলো অনেক বেশি। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরও বেশিরভাগ অধিবাসীই আর সেখানকার বাড়িঘরে ফিরে যাননি। ২০১৮ সালে জাপান সরকার ঘোষণা দেয় যে রেডিয়েশনের কারণে একজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে লোকজনকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়ার সময় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি ওই দুর্ঘটনাকে সাত মাত্রার দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যা এ ধরণের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। রাশিয়ার চেরনোবিল এর দ্বিতীয় উদাহরণ। অনেকেই আর বাড়িঘরে ফিরে আসেননি দায় ছিলো কার সমালোচকরা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার বা সরকারের সমালোচনা করে আসছে কারণ তারা মনে করেন সে সময় দুর্ঘটনা মোকাবেলার যথাযথ প্রস্তুতি ছিলো না। জাপান পার্লামেন্টের একটি স্বাধীন তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় যে 'এটি মনুষ্য সৃষ্ট' দুর্ঘটনা এবং এনার্জি কোম্পানিকে দায়ী করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করার জন্য। তবে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ারের কর্মকর্তারা পরে আদালত থেকে রেহাই পান। ওদিকে ২০১৯ সালে একটি আদালত সরকারকে আংশিক দায়ী বলে আদেশ দিয়ে লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়। দশ বছর পর... দশ বছর পরেও জাপানের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো শহর কার্যত বন্ধ আছে এবং কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে যাতে অধিবাসীরা ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু বড় ধরণের চ্যালেঞ্জও আছে। হাজার হাজার শ্রমিক দরকার হবে আগামী ৩০/৪০ বছরে নিরাপদে বিভিন্ন ধরণের পারমাণবিক বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার জন্য। রেডিয়েশনের ভয়ে কিছু অধিবাসী সেখানে আর কখনোই না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।", "doc2": "Le séisme de 2011 a été le plus puissant jamais enregistré au Japon. Le séisme, d'une magnitude de 9,0, était si puissant qu'il a fait dévier la Terre de son axe. Il a déclenché un tsunami qui a balayé l'île principale de Honshu, tuant plus de 18 000 personnes et rayant de la carte des villes entières. À la centrale nucléaire de Fukushima, la vague gigantesque a franchi les défenses et inondé les réacteurs, provoquant une catastrophe majeure. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Les autorités ont mis en place une zone d'exclusion qui s'est agrandie au fur et à mesure que les radiations s'échappaient de la centrale, obligeant plus de 150 000 personnes à évacuer la zone. Dix ans plus tard, cette zone est toujours en place et de nombreux résidents ne sont pas revenus. Les autorités estiment qu'il faudra jusqu'à 40 ans pour terminer les travaux, qui ont déjà coûté des milliers de milliards de yens au Japon. Où se trouve la centrale ? La centrale nucléaire de Fukushima Daiichi se trouve dans la ville d'Okuma, dans la préfecture de Fukushima. Elle se trouve sur la côte est du pays, à environ 220 km (137 miles) au nord-est de la capitale Tokyo. Le 11 mars 2011 à 14 h 46 heure locale (5 h 46 GMT), le tremblement de terre - connu sous le nom de Grand tremblement de terre du Japon oriental, ou tremblement de terre du Tohoku 2011 - a frappé à l'est de la ville de Sendai, à 97 km au nord de la centrale. Les habitants n'ont eu que 10 minutes d'alerte avant que le tsunami ne frappe la côte. Au total, près d'un demi-million de personnes ont été contraintes de quitter leur domicile à la suite du séisme, du tsunami et de l'accident nucléaire. Que s'est-il passé à Fukushima ? Les systèmes de la centrale nucléaire ont détecté le tremblement de terre et ont automatiquement arrêté les réacteurs nucléaires. Des générateurs diesel de secours ont été mis en marche pour maintenir le liquide de refroidissement autour des cœurs, qui restent incroyablement chauds même après l'arrêt des réactions. Mais peu après, une vague de plus de 14 mètres de haut a frappé Fukushima. L'eau a submergé la digue défensive, inondant la centrale et mettant hors service les générateurs d'urgence. Le tsunami a franchi la digue et a frappé l'usine. Les dommages ont entraîné des fusions nucléaires et un certain nombre d'explosions d'hydrogène. Les travailleurs se sont empressés de rétablir le courant, mais dans les jours qui ont suivi, le combustible nucléaire de trois des réacteurs a surchauffé et fait fondre partiellement les cœurs - ce que l'on appelle une fusion nucléaire. La centrale a également subi un certain nombre d'explosions chimiques qui ont gravement endommagé les bâtiments. Des matières radioactives ont commencé à s'échapper dans l'atmosphère et dans l'océan Pacifique, ce qui a entraîné des évacuations et la création d'une zone d'exclusion de plus en plus étendue. Combien de personnes ont été blessées ? La catastrophe nucléaire n'a fait aucun mort dans l'immédiat. Au moins 16 travailleurs ont été blessés dans les explosions, tandis que des dizaines d'autres ont été exposés aux radiations alors qu'ils travaillaient à refroidir les réacteurs et à stabiliser la centrale. Trois personnes auraient été emmenées à l'hôpital après une forte exposition. Les effets à long terme des radiations font l'objet d'un débat. L'Organisation mondiale de la santé (OMS) a publié un rapport en 2013 selon lequel la catastrophe n'entraînera pas d'augmentation observable des taux de cancer dans la région. Les scientifiques, tant à l'intérieur qu'à l'extérieur du Japon, estiment qu'à part la région située immédiatement autour de la centrale, les risques de radiation restent relativement faibles. Près de 1000 personnes sont mortes à Palu en Indonésie après un séisme de magnitude 7.5 Le 9 mars 2021, avant le dixième anniversaire de la catastrophe, un rapport des Nations unies a révélé qu'il n'y avait eu \"aucun effet néfaste sur la santé\" chez les habitants de Fukushima directement lié aux radiations de la catastrophe. Tout effet futur sur la santé lié aux radiations est \"peu susceptible d'être discernable\", selon le rapport. Mais beaucoup pensent que les dangers sont bien plus grands, et les habitants restent méfiants. Bien que les autorités aient levé les restrictions dans de nombreuses régions, la plupart des gens ne sont pas retournés chez eux. En 2018, le gouvernement japonais a annoncé qu'un travailleur était mort après avoir été exposé aux radiations et a convenu que sa famille devait être indemnisée. Il est toutefois confirmé qu'un certain nombre de personnes sont mortes lors de l'évacuation, notamment des dizaines de patients de l'hôpital qui ont dû être déplacés par crainte des radiations. Les autorités ont contrôlé l'exposition des civils aux radiations à la suite de la catastrophe. La catastrophe de Fukushima est classée comme un événement de niveau sept par l'Agence internationale de l'énergie atomique, le plus élevé de ces événements et seulement la deuxième catastrophe à atteindre cette classification après Tchernobyl. Qui était fautif ? Les critiques ont mis en cause le manque de préparation à l'événement, ainsi que la réaction confuse de l'exploitant de la centrale, Tokyo Electric Power (Tepco), et du gouvernement. Une enquête indépendante mise en place par le Parlement japonais a conclu que Fukushima était \"une catastrophe profondément anthropique\", reprochant à la compagnie d'énergie de ne pas avoir respecté les exigences de sécurité ou de ne pas s'être préparée à un tel événement. Toutefois, en 2019, un tribunal japonais a blanchi trois anciens cadres de Tepco pour négligence dans ce qui a été la seule affaire pénale à sortir de la catastrophe. La catastrophe a suscité une vague de colère au sein de l'opinion publique et un abandon de l'énergie nucléaire au Japon. En 2012, le Premier ministre japonais de l'époque, Yoshihiko Noda, a déclaré que l'État partageait la responsabilité de la catastrophe. Un tribunal a statué en 2017 que le gouvernement portait une responsabilité partielle et devait verser des indemnités aux personnes évacuées. Comment se passe le nettoyage ? Dix ans plus tard, plusieurs villes du nord-est du Japon restent interdites d'accès. Les autorités s'efforcent de nettoyer la zone pour que les résidents puissent y retourner. Des défis majeurs restent à relever. Des dizaines de milliers de travailleurs seront nécessaires au cours des 30 à 40 prochaines années pour éliminer en toute sécurité les déchets nucléaires, les barres de combustible et plus d'un million de tonnes d'eau radioactive encore conservés sur le site. Mais certains résidents ont décidé de ne jamais revenir parce qu'ils craignent les radiations, ont refait leur vie ailleurs ou ne veulent pas retourner là où la catastrophe a eu lieu. Hisae Unuma porte une combinaison de protection alors qu'elle prie au cimetière de sa famille, à 2,5 km de la centrale, le mois dernier. Selon les médias, en 2020, le gouvernement pourrait commencer à rejeter l'eau - filtrée pour réduire la radioactivité - dans l'océan Pacifique dès l'année prochaine. Certains scientifiques pensent que l'immense océan diluerait l'eau et qu'elle présenterait un faible risque pour la santé humaine et animale. Le groupe environnemental Greenpeace a cependant déclaré que l'eau contient des matériaux qui pourraient potentiellement endommager l'ADN humain. Les autorités ont déclaré qu'aucune décision définitive n'avait été prise quant à l'utilisation du liquide. Vous pourriez aussi être intéressé par : Il y a une semaine, un tsunami a frappé de plein fouet l'île de Sulawesi."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44136989", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-44141040", "doc1": "দুই নেতার ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠক করার কথা রয়েছে মি: ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং আনের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকটি ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে হবার কথা রয়েছে । ক্রুদ্ধ এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিম গিয়ে-গুয়ান আমেরিকার বিরুদ্ধে 'অশুভ অভিপ্রায়ের' এবং দায়িত্বহীন বিবৃতি দেবার অভিযোগ করেছেন। তিনি এজন্য সরাসরি দায়ী করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে। \"আমরা খোলাখুলিই বলছি যে আমরা তাকে একজন জঘন্য মানুষ বলে মনে করি, \" বলেন কিম গিয়ে-গুয়ান। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়া প্রতিশ্রুতি দেবার পর মি: কিম ও মি: ট্রাম্পের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের ঐতিহাসিক সম্মতি এসেছিল। উত্তর কোরিয়া বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিল এ মাসের পরের দিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার স্থান ভেঙে ফেলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য। মি: বোল্টন সম্প্রতি বলেছিলেন উত্তর কোরিয়া \"লিবিয়া মডেল'' অনুসরণ করতে পারে যেখানে দেশটি যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হয়েছে তা যাচাইযোগ্য হবে, কিন্তু উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ অতীতে এমন কথা বলেছে যে লিবিয়া ২০১১ সালে পশ্চিমা সামরিক অভিযানের জাঁতাকল হয়ত এড়িয়ে গেছে, কিন্তু তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। সোলে বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার বলছেন উত্তর কোরিয়া বহুদিন থেকেই বলে আসছে রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকার জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা অত্যাবশ্যক। এখন দেশটি তাদের সেই দাবি আরও স্পষ্ট করছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কিম দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠক: কৃতিত্ব কি ট্রাম্পের? উত্তর কোরিয়া তার বিবৃতিতে কী বলছে? রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত মি: কিমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে আমেরিকা ''যদি আমাদের কোণঠাসা ক'রে একতরফা দাবি করে যে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়তে হবে, তাহলে আমরা আলোচনায় আগ্রহী নই\" এবং ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে শীর্ষ বৈঠকে যোগদানের ''বিষয়টি আমাদের পুর্নবিবেচনা করতে হবে।'' তিনি বলেছেন উত্তর কোরিয়া \"খুবই আশাবাদী\" ছিল, কিন্তু এটা ''খুবই দু:খজনক যে আমেরিকা শীর্ষ বৈঠকের আগেই উদ্ভট বিবৃতি দিয়ে আমাদের উস্কানোর চেষ্টা করছে।'' কিম গিয়ে-গুয়ান উত্তর কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে খুবই সম্মানজনক ব্যক্তি এবং আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় তিনি আগেও অংশ নিয়েছেন। তার বক্তব্য যে কিম জং-আন ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করবেন না এমন সম্ভাবনা খুবই কম। এই বিবৃতি জারির কয়েক ঘন্টা আগে উত্তর কোরিয়া বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তাদের নির্ধারিত বৈঠকও বাতিল করে দিয়েছে। সেটাও সমস্যা যে আরও জটিল হচ্ছে তার একটা ইঙ্গিত। উত্তর কোরিয়া হঠাৎ করে সুর বদলাল কেন? সোলে বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার বলছেন, উত্তর কোরিয়া বহু বছর ধরে এত বিশাল অর্থ ব্যয়ে যে পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে তার কারণ একটাই- নিজেদের সুরক্ষা দেওয়া। ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়ার মূল আদর্শের কেন্দ্রে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ হওয়া। কাজেই জন বোল্টন রোববার এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলার বিষয়টির সঙ্গে লিবিয়া বা ইরাকের যেভাবে তুলনা টেনেছেন, সেটা উত্তর কোরিয়ার জন্য মোটেই সুখকর হয়নি। এটা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি একটা হুমকিও বটে। মি: ট্রাম্পের জন্য এই শীর্ষ বৈঠক কতটা জরুরি তা উত্তর কোরিয়া জানে। মি: ট্রাম্প বিশাল চাপের কৌশল নেবার ফলেই যে এই শীর্ষ বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করাতে আমেরিকা সফল হয়েছে এটা যে বলা হচ্ছে সেটাও তারা জানে। আমেরিকা যেভাবে তাদের এই সাফল্যের বা��্তা ছড়াচ্ছে, তাতে যে উত্তর কোরিয়া বিরক্ত সে ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। এখন তারা ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের বক্তব্য পরিষ্কার তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জন বোল্টনকে কেন উত্তর কোরিয়ার অপছন্দ? কট্টর রক্ষণশীল জন বোল্টন আমেরিকার ক্ষমতাকে সবচেয়ে বড় করে দেখেন এবং দেশের বাইরে সেই ক্ষমতা প্রকাশ করতে তিনি পছন্দ করেন, তা সংঘাতপূর্ণ হলেও। তিনি এর আগেও বলেছেন উত্তর কোরিয়ার ওপর প্রয়োজনে হামলা চালানো ''পুরোপুরি বৈধ\"। জন বোল্টন সপ্তাহান্তে সংবদামাধ্যমে তিনি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে লিবিয়া মডেল অনুসরণের কথা বলেছেন। লিবিয়া ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে তারা আবার অর্থনৈতিক সাহায্য পেতে শুরু করে এবং আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্কও স্বাভাবিক হয়। তবে ২০১১ সালে কর্নেল গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সময়, পশ্চিমা শক্তিগুলো লিবিয়া আক্রমণ করে, বিদ্রোহী বাহিনী মি: গাদ্দাফিকে আটক করে ও হত্যা করে। লিবিয়ার সঙ্গে তাদের তুলনা উত্তর কোরিয়া মোটেই পছন্দ করেনি। কিম গিয়ে-গুয়ান তার বিবৃতিতে বলেছেন ''এধরনের বক্তব্য সংলাপের মাধ্যমে একটা সমস্যা সমাধানের পথে এগুনোর মনোভাব হতে পারে না।'' ''পরাশক্তির হাতে লিবিয়া ও ইরাকের যে পরিণতি হয়েছিল তা আমাদের মত সম্মানিত একটা রাষ্ট্রের ওপরও চাপিয়ে দেবার এটা একটা চরম অশুভ অভিপ্রায়।'' \"তাকে (বোল্টন) যে আমরা যে খুবই অপছন্দের চোখে দেখি, সেটা আমরা লুকাতে চাই না।'' মি: কিম আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে মি: ট্রাম্প যদি ''তার পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান''- অর্থাৎ পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ না করা পর্যন্ত আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলবে না - ''তাহলে মি: ট্রাম্প তার পূর্বসুরীদের চেয়েও ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট হিসাবে গণ্য হবেন, তিনি নজিরবিহীন সাফল্য অর্জনের যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছেন তার থেকে অনেক দূরে সরে যাবেন।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কিম-ট্রাম্প বৈঠক হলেও সমঝোতা হবে কি? গোপনে বৈঠক করছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া আটক তিনজন আমেরিকানকে কারাগার থেকে মুক্তিদান উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে বড় ছাড়। উত্তর কোরিয়া যে একটা শক্ত অবস্থানে থেকে আলোচনার টেবিলে আসতে চাইছে তা তারা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিতে চায়। তারা হয়ত ��টাও ভাবছে যে সব ছাড় শুধু তারাই দিচ্ছে। তারা সবরকম পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে, আটক তিনজন আমেরিকানকে মুক্তি দিয়েছে। কিম জং-আন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দুজনে একটা ঘোষণাপত্রে সই করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষাস্থল ভেঙে ফেলতে যাচ্ছে। এত কিছুর পর যখন ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটা চুক্তির জন্য কৃতিত্ব দাবি করছে যে চুক্তি তাদের পছন্দ নয়, সেটা উত্তর কোরিয়া মনে করছে বিষয়টাকে একটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কাজেই উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে এধরনের বক্তব্য বিবৃতি এখন এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে চুক্তির শর্ত যদি তাদের পছন্দ না হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ বৈঠক থেকে তারা সরে আসতে প্রস্তুত। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে কীভাবে বেড়েছে গড় আয়ু? জামিন পেলেও এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা দেখুন: আপনি কত দিন বাঁচবেন?", "doc2": "Les deux hommes ont eu des relations tumultueuses par le passé Selon lui, Pyongyang \"reconsidérerait\" sa participation au sommet entre son dirigeant et le président américain prévu le 12 juin à Singapour. La Corée du Nord a annulé une rencontre de haut niveau avec Séoul pour protester contre des exercices militaires annuels en cours entre Séoul et Washington, qualifiés de \"provocation\". L'arsenal atomique nord-coréen devrait figurer en bonne place des discussions. Washington exige \"la dénucléarisation complète, vérifiable et irréversible\" de la Corée du Nord. SUR LE MÊME SUJET Trump dit avoir un bouton nucléaire \"plus gros\" que celui de Kim-Jong-Un Washington menace de \"détruire la Corée du Nord\" Trump condamne le nouveau test nucléaire en Corée du Nord RDC: la Corée déconseille la \"machine à voter\" Décrispation Les dirigeants des deux Corées Ces dernières semaines, outre un sommet rarissime avec le président sud-coréen Moon Jae-in dans la Zone démilitarisée (DMZ) qui divise la péninsule, Kim Jong Un a rencontré deux fois le président chinois Xi Jinping et annoncé qu'il détruirait la semaine prochaine son site d'essais nucléaires. Pyongyang a passé des années à constituer son arsenal nucléaire, menant l'année dernière son sixième essai atomique, le plus puissant à ce jour, et tirant des missiles capables d'atteindre le territoire continental des Etats-Unis. Les forces armées des deux pays Ses ambitions militaires lui ont valu de multiples salves de sanctions du Conseil de sécurité de l'ONU tandis que MM. Trump et Kim échangeaient insultes personnelles et menaces belliqueuses. Mais les jeux Olympiques d'hiver organisés en Corée du Sud ont été le catalyseur d'un rapprochement spectaculaire, M. Moon utilisant l'événement pour orchestrer des pourparlers entre Washington et Pyongyang. SUR LE MÊME SUJET Cyber attaque: la Corée du Nord indexée Trump: \"Kim Jong-Un est un fou\" Trump accepte de rencontrer Kim Jong Un Kim Jong-Un menace les \"gangsters américains\" Pourquoi Kim Jong-un est allé en Chine"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57047666", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54154451", "doc1": "মিউকোর নামের ছত্রাক দেখা যায় মাটিতে, গাছপালায়, সার এবং পচন ধরা ফলে ঐ রোগী, যিনি ডায়াবেটিক, ক্লিনিকের ভেতর সেসময় একজন কান, নাক ও গলার ডাক্তার তার নাকের ভেতর নল ঢুকিয়ে মিউকোমাইকোসিস বা বিপজ্জনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কোষগুলো বের করে আনছিলেন। বিরল এই ��ত্রাকের সংক্রমণ খুবই মারাত্মক যা নাক, চোখ এবং কখনও কখনও মস্তিষ্কেও আক্রমণ করে। অন্য চিকিৎসকের কাজ শেষ হলে ডা. নায়ার ঐ রোগীর চোখে অস্ত্রোপচার শুরু করবেন। ঐ রোগীর ওপর তিন ঘন্টার অস্ত্রোপচার চালিয়ে তিনি তার চোখ কেটে বাদ দেবেন। ''জীবন বাঁচাতে তার চোখ আমাকে বাদ দিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই,'' আমাকে জানান ডা. নায়ার। ভারতে যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিচ্ছে বহু মানুষের জীবন, তছনছ করে দিচ্ছে জনজীবন, তখন ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত এখন ধরা পড়ছে কোভিড থেকে আরোগ্যের পথে বা সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে বিরল এক সংক্রমণ- যার নাম \"ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'' বা বৈজ্ঞানিক নাম মিউকোরমাইকোসিস। আরও পড়তে পারেন: মিউকোরমাইকোসিস কী ধরনের সংক্রমণ? মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসব্জিতে। \"এটা মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে,\" বলছেন ডা. নায়ার। এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস যাদের আছে, কিংবা কোন রোগের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম এই মিউকোর থেকে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন মিউকোরমাইকোসিস থেকে মৃত্যুর আশংকা ৫০%। তাদের ধারণা স্টেরয়েডের ব্যবহার থেকে এই সংক্রমণ শুরু হতে পারে। কোভিড-১৯এ গুরুতরভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের জীবন বাঁচাতে এখন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। স্টেরয়েড কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। করোনাভাইরাসের জীবাণুর সাথে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে যেসব ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি থামানোর জন্যও ডাক্তাররা কোভিডের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করেন। কিন্তু এই স্টেরয়েডের ব্যবহার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই, এমনকি ডায়াবেটিস নেই এমন কোভিড আক্রান্তদের শরীরের রক্তে শর্করার (ব্লাড সুগার) মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ ঘটছে। কোভিড রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য স্টেরয়েড একটা জরুরি ওষুধ কাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি? \"ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটা আরও কমে যায়। এর ওপর কোভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য যখন স্টেরয়েড দেয়া হয়, তখন সেটা আগুনে ইন্ধন যোগানোর মত হয়ে দাঁড়ায়,\" বলছেন ডা. নায়ার। ডা. নায়ার কাজে করেন মুম্বাইয়ের তিনটি হাসপাতালে। করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবে ভারতের যেসব শহর মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত, তার একটি হল মুম্বাই। তিনি বলছেন তিনি শুধু এপ্রিল মাসেই এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণে ভোগা প্রায় ৪০ জন রোগীর চিকিৎসা ইতোমধ্যে করেছেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ডায়াবেটিসের রোগী, যারা কোভিড সংক্রমণের পর বাসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে এগারোজনের চোখ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দিতে হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে মাত্র ছয়টি শহর - মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি এবং পুনেতে তার মাত্র ছয়জন সহকর্মী চিকিৎসক ৫৮ জন রোগীর মধ্যে এই সংক্রমণের খবর জানিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৫ দিনের মাথায় ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মুম্বাইয়ের ব্যস্ত সিয়ন হাসপাতালে গত দুই মাসে এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক সংক্রমণের ২৪টি কেসের কথা জানা গেছে। ঐ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান ডা. রেণুকা ব্র্যাডু জানাচ্ছেন এর আগে এই কালো ছত্রাক সংক্রমণ বা মিউকোরমাইকোসিসের শিকার হওয়া রোগীর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল বছরে ছয়টি। \"এখন প্রতি সপ্তাহে দুটি থেকে তিনটি কেস আমরা পাচ্ছি। প্যানডেমিকের মধ্যে এটা ভয়ানক বিপর্যয়কর,\" তিনি বিবিসিকে জানান। দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্যাঙ্গালোর শহরের চোখের সার্জেন ডা. রাঘুরাজ হেগড়ে একই ধরনের চিত্র তুলে ধরেছেন। গত দুই সপ্তাহে তার কাছে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ১৯জন রোগী এসেছে। এদের বেশিরভাগ অল্প বয়সী। \"কেউ কেউ এত অসুস্থ ছিল যে আমরা তাদের অস্ত্রোপচারও করতে পারিনি।\" চিকিৎসকরা বলছেন তারা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং এত দ্রুত তা ছড়ানোর ঘটন��য় খুবই বিস্মিত। গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় এই ছত্রাক সংক্রমণ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ডা. নায়ার বলছেন গত দুবছরে তিনি মুম্বাইতে ১০টির বেশি কেস পাননি। \"এবছর চিত্রটা খুবই আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে,\" তিনি বলছেন। ডা. হেগড়ে বলছেন, ব্যাঙ্গালোরে তিনি তার দুই দশকের চিকিৎসা জীবনে বছরে কখনও একটা বা দুটোর বেশি কেস দেখেননি। আরও পড়তে পারেন: ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বিপর্যস্ত শহরগুলোর একটি মুম্বাই কীধরনের উপসর্গ দেখা দেয়? ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীদের সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে: চিকিৎসকরা বলছেন বেশিরভাগ রোগীই তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে দেরিতে। যখন তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে। এই পর্যায়ে ডাক্তারের অস্ত্রোপচার করে চোখ ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কারণ ছত্রাকের মস্তিষ্কে আক্রমণ ঠেকাতে চোখ বাদ দেয়া ছাড় তখন বিকল্প থাকে না। ভারতের ডাক্তাররা বলছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীরা দুচোখেরই দৃষ্টি হারাচ্ছেন। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে চিকিৎসকদের রোগীর চোয়ালের হাড়ও কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। তবে সেগুলো একেবারে মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য শিরার মধ্যে ইঞ্জেকশন দেবার ওষুধের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এক ডোজ ৩,৫০০ রুপি। আর রোগীকে এই ওষুধ দিতে হবে প্রতিদিন আট সপ্তাহ ধরে। এটাই এই রোগের চিকিৎসায় একমাত্র কার্যকর ওষুধ। প্রতিরোধ কি সম্ভব? মুম্বাইয়ের ডায়াবেটিসের চিকিৎসক ডা. রাহুল বক্সি বলছেন, \"এই ছত্রাক সংক্রমণ এড়ানো একমাত্র সম্ভব কোভিড-১৯এর রোগীর চিকিৎসার সময় এবং তার সুস্থ হয়ে ওঠার সময় যদি নিশ্চিত করা যায় তাকে সঠিক পরিমাণ স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছে, সঠিক সময় ধরে।\" তিনি বলছেন গত বছর তিনি ৮০০ জন ডায়াবেটিক কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করেছেন এবং এদের কেউ কোভিড পরবর্তী ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হননি। \"রোগী সুস্থ হবার পর বা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তার রক্তে শর্করার মাত্রা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা খুবই জরুরি,\" বলছেন ডা. বক্সি। সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন এই ছত্রাক সংক্রমণ যদিও সেভাবে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছয়নি, কিন্তু ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কেন এভাবে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে তার কারণ এখনও সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। \"এই ভাইরাসের ধরনটা আরও প্রাণঘাতী বলে মনে হচ্ছে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই বেড়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হল আক্রান্ত হচ্ছে অনেক তরুণ,\" বলছেন ডা. হেগড়ে। আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাতটি পরামর্শ", "doc2": "La moisissure Mucor se trouve dans le sol, les plantes, le fumier et les fruits en décomposition. À l'intérieur du cabinet, un oto-rhino-laryngologiste était déjà au travail sur la patiente, une diabétique. Il avait inséré un tube dans son nez et retirait les tissus infectés par la mucormycose, une infection fongique rare mais dangereuse. Cette infection agressive affecte le nez, l'œil et parfois le cerveau. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Une fois que son collègue aura terminé, le Dr Nair procédera à une intervention de trois heures pour retirer l'œil de la patiente. \"Je vais lui enlever l'œil pour lui sauver la vie. C'est ainsi que fonctionne cette maladie\", m'a dit le Dr Nair. Alors même qu'une deuxième vague mortelle de Covid-19 ravage l'Inde, les médecins signalent maintenant une série de cas impliquant une infection rare - également appelée \"champignon noir\" - parmi les patients atteints de Covid-19 en voie de guérison ou guéris. Qu'est-ce que la mucormycose ? La mucormycose est une infection très rare. Elle est causée par une exposition à la moisissure mucor que l'on trouve couramment dans le sol, les plantes, le fumier et les fruits et légumes en décomposition. \"Elle est omniprésente et se trouve dans le sol, dans l'air et même dans le nez et le mucus des personnes en bonne santé\", explique le Dr Nair. Elle affecte les sinus, le cerveau et les poumons et peut mettre en danger la vie des diabétiques ou des personnes gravement immunodéprimées, comme les cancéreux ou les personnes atteintes du VIH/sida. Les médecins pensent que la mucormycose, dont le taux de mortalité global est de 50 %, pourrait être déclenchée par l'utilisation de stéroïdes, un traitement salvateur pour les patients Covid-19 gravement et très gravement malades. Les stéroïdes réduisent l'inflammation dans les poumons des patients atteints du Covid-19 et semblent contribuer à stopper certains des dommages qui peuvent survenir lorsque le système immunitaire de l'organisme s'emballe pour combattre le coronavirus. Mais, ils réduisent également l'immunité et augmentent le taux de sucre dans le sang chez les diabétiques et les non-diabétiques atteints de Covid-19. On pense que cette baisse de l'immunité pourrait déclencher ces cas de mucormycose. Les stéroïdes sont un médicament essentiel pour sauver la vie des patients atteints de Covid \"Le diabète diminue les défenses immunitaires de l'organisme, le coronavirus l'exacerbe, puis les stéroïdes qui aident à combattre le Covid-19 agissent comme de l'huile sur le feu\", explique le Dr Nair. Le Dr Nair - qui travaille dans trois hôpitaux de Mumbai, l'une des villes les plus touchées par la deuxième vague - affirme avoir déjà vu une quarantaine de patients souffrant de l'infection fongique en avril. Beaucoup d'entre eux étaient des diabétiques qui s'étaient remis du Covid-19 à la maison. Onze d'entre eux ont dû subir une ablation chirurgicale d'un œil. Entre décembre et février, seuls six de ses collègues dans cinq villes - Mumbai, Bangalore, Hyderabad, Delhi et Pune - ont signalé 58 cas d'infection. La plupart des patients l'ont contractée entre 12 et 15 jours après leur rétablissement de Covid-19. L'hôpital Sion de Mumbai, très fréquenté, a signalé 24 cas d'infection fongique au cours des deux derniers mois, contre six l'année précédente, selon le Dr Renuka Bradoo, responsable du service d'oto-rhino-laryngologie de l'hôpital. Onze d'entre eux ont dû perdre un œil, et six sont morts. La plupart de ses patients sont des diabétiques d'âge moyen qui ont été frappés par le champignon deux semaines après s'être remis du Covid-19. \"Nous voyons déjà deux à trois cas par semaine ici. C'est un cauchemar\", dit-elle. Dans la ville de Bengaluru, au sud du pays, le Dr Raghuraj Hegde, chirurgien ophtalmologue, raconte une histoire similaire. Il a vu 19 cas de mucormycose au cours des deux dernières semaines, la plupart étant de jeunes patients. \"Certains étaient tellement malades que nous ne pouvions même pas les opérer\". Les médecins se disent surpris par la gravité et la fréquence de cette infection fongique lors de la deuxième vague, par rapport à certains cas lors de la première vague l'année dernière. Le Dr Nair dit qu'il n'a pas rencontré plus de 10 cas �� Mumbai au cours des deux dernières années. \"Cette année, c'est différent\", dit-il. À Bengaluru, le Dr Hegde n'avait jamais vu plus d'un ou deux cas par an en plus de dix ans de pratique. Mumbai est l'une des villes les plus touchées par la deuxième vague en Inde. Les patients souffrant de cette infection fongique présentent généralement les symptômes suivants : nez bouché et saignant, gonflement et douleur de l'œil, paupières tombantes, vision floue et, finalement, perte de la vue. Il peut y avoir des taches noires sur la peau autour du nez. Les médecins disent que la plupart de leurs patients arrivent tard, alors qu'ils perdent déjà la vue, et les médecins doivent retirer l'œil par voie chirurgicale pour empêcher l'infection d'atteindre le cerveau. Dans certains cas, disent les médecins indiens, les patients ont perdu la vue des deux yeux. Et dans de rares cas, les médecins doivent procéder à une ablation chirurgicale de l'os de la mâchoire afin d'empêcher la propagation de la maladie. Une injection intraveineuse antifongique, qui coûte 3 500 roupies (25 887 FCFA) par dose et doit être administrée tous les jours pendant huit semaines, est le seul médicament efficace contre la maladie. Lire plus sur le Covid : Selon le Dr Rahul Baxi, diabétologue à Mumbai, l'un des moyens d'éviter l'apparition de l'infection fongique consistait à s'assurer que les patients atteints du Covid-19, tant pendant le traitement qu'après la guérison, recevaient la bonne dose et la bonne durée de stéroïdes. Il dit avoir traité quelque 800 patients diabétiques atteints du Covid-19 l'année dernière, et aucun d'entre eux n'a contracté l'infection fongique. \"Les médecins devraient surveiller les taux de sucre après la sortie des patients\", m'a dit le Dr Baxi. Un haut fonctionnaire du gouvernement affirme qu'il n'y a \"pas de grande épidémie\". Pourtant, il est difficile de dire pourquoi un nombre croissant de cas de mucormycose est signalé dans tout le pays. \"La souche du virus semble virulente, faisant grimper les taux de glycémie à des niveaux très élevés. Et curieusement, l'infection fongique touche beaucoup de jeunes gens\", explique le Dr Hegde. Le mois dernier, son plus jeune patient était un homme de 27 ans, qui n'était même pas diabétique. \"Nous avons dû l'opérer au cours de sa deuxième semaine de Covid-19 et lui retirer l'œil. C'est assez dévastateur\". Vous pourriez peut-être intéressé par: De femme au foyer à bodybuilder: elle change de vie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47836852", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47280342", "doc1": "হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, প্রতিদিন দুইটির বেশি কোমল পানীয় খেলে আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ২১ শতাংশ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি.এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের পরিচালিত ওই গবেষণাটি গতমাসে প্রকাশিত হয়। গত ৩০ বছর ধরে সারা বিশ্বের ৩৭ হাজার পুরুষ এবং ৮০ হাজার নারীর ওপর এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়, যেখানে দেখা গেছে যে, চিনি দিয়ে তৈরি হয়েছে এমন পানীয় খাওয়ার কারণে অন্য কোন কারণ ছাড়াই তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গবেষণা বলছে, এই জাতীয় পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, তাদের মৃত্যু ঝুঁকিও ততই বেড়ে যাবে। গবেষক ও প্রধান লেখক ভাসান্তি মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''যারা মাসে একবার এরকম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে, তাদের তুলনায় যারা চারবার পর্যন্ত পান করে, তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ১ শতাংশ বেড়ে গেছে। যারা সপ্তাতে ২ থেকে ছয়বার পান করে, তাদের বেড়েছে ৬ শতাংশ, আর যারা প্রতিদিন এক থেকে দুইবার চিনির পানীয় খায়, তাদের বেড়েছে ১৪ শতাংশ।'' ''যারা প্রতিদিন দুইবারের বেশি এরকম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে, তাদের আগাম মৃত্যুর স���্ভাবনা বেড়েছে ২১ শতাংশ।'' আরো পড়ুন: যেসব খাবারে প্রতি পাঁচ জনে একজনের অকাল মৃত্যু হচ্ছে কোন ধরণের শর্করা কতটুকু খাওয়া উচিত? নি:শ্বাসের মাধ্যমে জানা যাবে কোন খাবার খেতে হবে অনেক দেশে চিনি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয়ের ওপর অতিরিক্ত কর রয়েছে বিশ্বব্যাপী কোমল পানীয় খাওয়ার হার ওই গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় খেয়েছেন, তাদের অকাল হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক এই কারণে যে, সারা বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের প্রবণতা বাড়ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোমনিটর বলছেন, বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের হার বছরে গড়ে জনপ্রতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.৯ লিটারে, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল গড়ে ৮৪.১ লিটার। হার্ভার্ডের গবেষকরা বলছেন, ডায়েট কোমল পানীয় খাওয়া কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ, তবে কোমল পানীয়ের বাজারে তাদের অংশ খুবই কম। এরকম পানীয় পানের হার বছরে জনপ্রতি মাত্র ৩.১ লিটার। দেখা গেছে, বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে চীন। বছরে দেশটির একেকজন নাগরিক এজাতীয় পানীয় গ্রহণ করে ৪১০.৭ লিটার। এরপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৫৬.৮ লিটার), স্পেন (২৬৭.৫ লিটার), সৌদি আরব (২৫৮.৪ লিটার), আর্জেন্টিনা (২৫০.৪ লিটার)। এই পরিসংখ্যান হিসাবে চীনে একজন বাসিন্দার গড় কোমল পানীয় পানের হার প্রতিদিন এক লিটারেরও বেশি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েনের পেছনে কারণ কী জলবায়ু পরিবর্তন: বলি হচ্ছে দুই কোটি বাংলাদেশী শিশু নাচতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করা হলো বিশ্বে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে স্থূলতার হার বেড়েই চলেছে ক্যালোরির হিসাব-নিকাশ চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে ২০১৫ সালে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, একজন আমেরিকান প্রতিদিন চিনিযুক্ত পানীয় থেকে ১৫৭ ক্যালোরি গ্রহণ করে-যেটি এক ক্যান কোমল পানীয়ের চেয়ে একটু বেশি। যেমন কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩৩০ মিলিলিটারের এক ক্যান কোকা-কোলায় ৩৫ গ্রাম চিনি রয়েছে, যা সাত চা চামচ চিনির সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ হলো, প্রতিদিন ৫০ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু যখন ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়ে��িল, তখন কোমল পানীয় খাওয়ার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। চীনের একজন নাগরিক প্রতিদিন গড়ে ১৮৮ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। যদিও এই হিসাবটি ছিল দেশটিতে চিনির ওপর শুল্ক বাড়ানোর আগে। শুল্ক বাড়ার পর মাসে চিনির তৈরি পানীয় খাওয়ার হার কিছুটা কমেছে। বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে চিনি দিয়ে তৈরি পানীয়ের ওপর নানা ধরণের কর রয়েছে। এ কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করছে যে, আরো অনেক দেশের এরকম কড়া পদক্ষেপ নেয়া উচিত। হার্ভার্ডের পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ক অধ্যাপক ওয়াল্টার উইলেট বলছেন, ''এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, শিশু ও তরুণদের কাছে চিনিযুক্ত পানীয়ের প্রচার সীমিত করা উচিত, সেই সঙ্গে সোডা জাতীয় পণ্যের ওপর কর বসানো উচিত।\" \"কারণ এ জাতীয় চিনির পানীয় খাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে যেসব রোগের শিকার হতে চিকিৎসা ব্যয় হয়, বর্তমান কোমল পানীয়ের মূল্য থেকে সেই খরচ আসছে না।'' স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি বড় উদ্বেগ হলো যে, এই জাতীয় চিনিযুক্ত কোমল পানীয় প্রভাব শিশু এবং তরুণদের ওপর যেসব প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে পাঁচ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে স্থূলতার হার ১৯৭৫ সালেও ছিল ১১ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪ মিলিয়ন। তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত কোমল পানীয় খেলে তার প্রভাব হতে পারে আরো ভয়াবহ।", "doc2": "Le soda pour les enfants doit être strictement éliminé, selon le médecin nutritionniste Djibril Traoré. Quelle consommation devrait-on en faire ? La réponse avec le docteur Djibril Traoré, spécialiste en nutrition humaine et chercheur au projet Usaid/Fpl. Devons-nous consommer des sodas ? Une étude publiée le mois dernier par la T. H. Chan School of Public Health de l'Université Harvard analyse les données de plus de 37 000 hommes et 80 000 femmes sur 30 ans. Les chercheurs constatent que plus une personne consomme des boissons sucrées, plus le risque de décès précoce augmente pour elle. A regarder : Un nutritionniste donne de bonnes raisons de ne pas servir des sodas aux enfants. \"La consommation d'une à deux boissons sucrées par jour était associée à un risque accru de de 14 % ; et deux boissons sucrées ou plus par jour augmentent les risques de 21 %\", déclare Vasanti Malik, chercheur au département de la nutrition de l'Université Harvard et auteur principal de cette étude. Le nombre d'enfants et adolescents obèses dans le monde ne cesse d'augmenter. L'une des principales préoccupations des autorités sanitaires est l'effet des boissons sucrées sur les enfants et les adolescents. Les chiffres de l'obésité dans ces groupes d'âge (5 à 19 ans) est passé de 11 millions en 1975 à 124 millions en 2016, selon l'Organisation mondiale de la santé (OMS). Lire aussi : Un régime \"pour vivre plus longtemps\" Un régime méditerranéen 'peut aider à prévenir la dépression' \"Les enfants ont besoin d'énergie pour grandir. Mais ce que je conseille aux familles, c'est d'apprendre à l'enfant, dès le plus jeune âge, à prendre de l'énergie accompagnée de nutriments, par exemple des fruits\", explique le docteur Djibril Traoré, spécialiste en nutrition humaine et chercheur au projet Usaid/Fpl. Les familles doivent apprendre à l'enfant à manger des fruits dès le plus jeune âge. Leur donner des fruits pressés, comme de la papaye, de la mangue ou de l'orange, leur apportera le sucre, mais aussi les fibres, les vitamines, les nutriments et les minéraux qui sont bons pour la santé et l'organisme, conseille le Dr. Traoré. Lire aussi : Trop de sucre dans le yaourt Obésité et risque de cancer chez la femme \"Il ne faut pas attendre d'être en mauvaise santé pour décider. La bonne conduite, dès à présent, c'est de savoir que les sodas ne sont pas bons et de prendre les mesures pour empêcher son enfant de devenir malade ou de grandir en mauvais adulte\", conseille-t-il. \"Pour les adultes, il faudrait prendre une tasse après avoir fait une longue marche ou avoir dépensé beaucoup d'énergie dans la journée. L'idéal serait de ne pas dépasser une tasse par semaine de boisson sucrée\", recommande le nutritionniste . Limiter la consommation de sucre Nous nous sommes intéressés aux étiquettes des boissons sucrées prisées autant par les enfants que par certains adultes. Une boîte de 330 millilitres de Coca-Cola, selon le site web de l'entreprise, contient 35 grammes de sucre, ce qui équivaut à environ sept cuillères à café. L'OMS recommande que la consommation quotidienne de sucre ne dépasse pas 50 grammes. \"Pour les boissons, l'idéal est de conserver la quantité naturelle de sucre qui se trouve dans le fruit\", observe le docteur Djibril Traore. Une étude de l'Université Harvard révèle que la consommation de deux boissons sucrées ou plus par jour entraîne une augmentation de 21 % du risque de mort prématurée. Un tour au supermarché au Sénégal et en France nous a permis de relever un écart de +0,2 gramme de sucre pour 100 millilitres, dans la composition affichée sur la bouteille de la boisson à bulle la plus répandue au monde. Un écart qu'il ne faut pas minimiser, selon le docteur Traoré, car elle peut se révéler très significative dans le développement de la résistance insulinique, puis du diabète. Lire aussi : Obésité et malbouffe en Tunisie Pourquoi l'obésité peut causer le cancer \"0,2 gramme n'est pas négligeable. C'est comme cela que l'on commence à développer une maladie chronique. Vous prenez quelque chose de mauvais à petite dose au quotidien, jusqu'à ce que vous développiez une maladie. Et quand vous êtes malade, ce 0,2 gramme devient catastrophique et peut même aller jusqu'à provoquer un coma\", avertit-il. Quelles mesures prendre ? Près de 30 pays dans le monde, dont le Royaume-Uni, ont mis en place un système de taxation des boissons sucrées. Les résultats de l'étude conduite par l'Université de Harvard \"appuient davantage les politiques visant à limiter la commercialisation des boissons sucrées auprès des enfants et des adolescents et à mettre en place des taxes sur les boissons gazeuses, car le prix actuel des boissons sucrées ne tient pas compte des coûts élevés du traitement des conséquences\", a déclaré Walter Willett, professeur d'épidémiologie et de nutrition à l'Université de Harvard. De nombreux pays dans le monde ont mis en place des taxes sur le sucre. \"Malheureusement, dans les pays africains, les populations ont un goût prononcé pour le sucre. Les fabricants de boisson ne sont pas des nutritionnistes, ils veulent que leurs produits soient vendus. Ils fabriquent selon le goût du consommateur\", souligne M. Traoré. Selon lui, l'État devrait obliger les industriels à faire des mises en garde sur les bouteilles de soda, comme c'est le cas pour les paquets de cigarettes. Une autre solution est de surtaxer ces produits, afin de les rendre plus chers et de réduire leur consommation. A regarder : Faire reculer le diabète chez les enfants en Afrique sub-saharienne"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51280956", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51263853", "doc1": "বর্তমানে যুক্তরাজ্য জুড়ে অন্তত ২২টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে, যারা যৌনি পর্দা পুনরুদ্ধারের অস্ত্রোপচার করে থাকে। যে নারীরা এই শল্যচিকিৎসার সহায়তা নেন, তাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসা মুসলমান নারী। বিয়ের আগে তারা যৌন সম্পর্ক করেছেন, সেটা তাদের স্বামী বা পরিবার বুঝতে পারলে সমাজচ্যুত, এমনকি হত্যাও করতে পারে, এমন আশঙ্কায় নারীরা এই ঝুঁকি নেন। তারা এমন একটি প্রক্রিয়ার সহায়তা নেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাকে বলা হয় 'রিভার্জিনাইজ' যার অর্থ পুনরায় কুমারী করে তোলা। এটি 'হাইমেনোপ্লাস্টি' ��ামেও পরিচিত। এখানে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যোনি প্রবেশপথের ঝিল্লির একটি স্তর, যেটি অনেকে 'সতীচ্ছদ' বলে বর্ণনা করে থাকেন, সেটি পুনরায় তৈরি করে দেয়া হয়। চিকিৎসায় কোন সুবিধা নেই যে নারীদের বিয়ের রাতে তাদের সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে অক্ষত যৌনিপর্দা তার কুমারীত্বের প্রমাণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের কোন চিকিৎসাগত সুবিধা নেই, শুধুমাত্র নারীদের ভীতি এবং লজ্জাকে ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অধিকার কর্মীরা। এ কারণে তারা এ ধরণের অস্ত্রোপচার বন্ধ করার দাবি করছেন। কিন্তু বিপরীতভাবে বলা হয়, এটি নিষিদ্ধ করা হলে যে নারীরা এ ধরণের অস্ত্রোপচারের সহায়তা নিতে বাধ্য হন, সেই মুসলমান নারীদের জন্য বিপদ বাড়িয়ে দেবে। যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের (জিএমসি) গাইডলাইন অনুযায়ী, এ ধরণের অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের সম্মতির সময় জিজ্ঞেস করতে হবে যে, তারা কি কোনরকম চাপের কারণে বা অন্য কোন ব্যক্তির চাপ প্রয়োগের ফলে এ ধরণের কাজ করছেন কিনা। আরো পড়ুন: ভারতের যেসব নববধুদের কুমারীত্বের পরীক্ষা দিতে হয় বাংলাদেশে কুমারী মা বা স্বীকৃতিহীন শিশুর আশ্রয় কোথায়? বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা সতীত্ব রক্ষার বিনিময়ে শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে বিতর্ক আন্দোলনকারীরা বলছেন, ভয়ে এবং লজ্জার কারণে মুসলমান নারীরা এধরণের অস্ত্রোপচার করছেন ভয়ের মধ্যে বসবাস মিডল ইস্টার্ন উইমেন এন্ড সোসাইটি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা হালালেহ তাহেরি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, মরক্কোর একজন ছাত্রী লন্ডনে লুকিয়ে আছেন, কারণ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন যে, তাকে হত্যা করার জন্য তার বাবা লোক ঠিক করেছে। ২০১৪ সালে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে আসার পর, ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয় এবং তারা একত্রে থাকতে শুরু করেন। যখন এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তার পিতা, তখন তিনি তাকে মরক্কোয় ফিরে আসতে বলেন। সেখানে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে 'কুমারীত্বের' পরীক্ষা করার পর তার পিতা জানতে পারেন, তার যৌনি পর্দা (হাইমেন) আর অক্ষত নেই। এরপরে তিনি পালিয়ে লন্ডনে চলে আসেন। কিন্তু এরপর থেকে তিনি ভয়ে জীবন কাটাচ্ছেন, কারণ তার আশঙ্কা, তার পিতা হয়তো জানতে পারবে যে, তিনি কোথায় বসবাস করছেন। মরক্কোয় জন্ম নেয়া, ৪০ বছর বয়সী একজন সহকারী শিক্ষক বিবিসিকে বলছেন, বিশ বছর বয়সের সময় তাকে একবার এই পরীক্ষাটি করানো হয়। কিন্তু তিনি আর কল্পনাও করতে পারেন না যে, তার ছেলেমেয়ের কখনো এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। ''আমি কখনোই তাদের ক্ষেত্রে এরকম করবো না। আমি তাদের মুক্তভাবে বেঁচে থাকা শেখাতে চেষ্টা করি।'' যৌনাঙ্গে কসমেটিক সার্জারি করেছেন, এরকম নারীদের সংখ্যা যুক্তরাজ্যে বাড়ছে বিয়ের রাত সানডে টাইমস পত্রিকার একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্য জুড়ে অন্তত ২২টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে, যারা যৌনি পর্দা পুনরুদ্ধারের অস্ত্রোপচার করে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টার একটি অস্ত্রোপচারের জন্য তারা তিন হাজার পাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে থাকে। নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, এসব ক্লিনিক মুসলমান নারীদের ভয়কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছেন। কারণ বিয়ের রাতে তাদের কুমারীত্ব নেই, জানতে পারলে কি ঘটতে পারে, তা নিয়ে ওই নারীরা ভয় পান। অনেক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এসব প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। লন্ডন গায়ানে সেন্টার নারীদের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে লিখেছে, বিয়ের পরে যদি স্বামীরা বুঝতে পারে যে, তাদের যৌনি পর্দা ভেঙ্গে গেছে, তাহলে বিয়েটি ভেঙ্গে যেতে পারে। ওই ক্লিনিকের মন্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করেছে বিবিসি নিউজ, কিন্তু এখনো কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 'ভয়ঙ্কর চর্চা' যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, এই 'ভয়ঙ্কর চর্চা' বন্ধ করার পথ খুঁজে বের করার উপায় খুঁজে দেখবেন। কিন্তু কীভাবে সম্ভাব্য একটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তর। মিস তাহেরি বলছেন, ''যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি কার্যকর করা না হলে মেয়েদের মৃত্যুও হতে পারে।'' লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন এবং নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ খান, যিনি এরকম প্রক্রিয়া নিজের চোখেই দেখেছেন, তিনি বলছেন, একে নিষিদ্ধ করা যথার্থ কাজ হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য দেয়া হচ্ছে, তখন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটি প্রত্যেক নারীর ওপরেই থাকা উচিত। ''আমার বিশ্বাস, চিকিৎসকদের আসল উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করা,'' তিনি বলছেন। যুক্তরাজ্যে এসব অস্ত্রোপচার করতে তিন হাজার পাউন্ড লাগতে পারে। মানসিকভাবে সহায়তা ব্রিটিশ সোসাইটি ফর প��ডিয়াট্রিক এন্ড এডোলেসেন্ট গায়নাকোলজির চেয়ারপার্সন নাওমি ক্রুচ মনে করেন, নারী ও শিশুরা এমন একটি প্রক্রিয়ায় নিগৃহীত হচ্ছে, যার চিকিৎসাগত কোন উপকারিতা নেই। তিনি বলছেন, ''চিকিৎসকদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জিএমসির গাইডলাইনে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে।'' ''চিকিৎসা খাতের একজন পেশাদার ব্যক্তি হিসাবে একটি শপথের মধ্যে আমরা থাকি যে, রোগীদের কোন ক্ষতি করা যাবে না এবং সম্মানজনক সেবা দিতে হবে। কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া হলে সেটা নিরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত।'' জিএমসির শিক্ষা ও মাণ বিষয়ক পরিচালক কোলিন মেলভিল বলেছেন, ''রোগীদের দুর্বলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি প্রথমেই চিকিৎসকের বিবেচনায় নেয়া উচিত, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' সম্মতি নিয়ে প্রশ্ন ''অন্যদের চাপের কারণে যদি কোন রোগী এই প্রক্রিয়াটি করতে চান, তাহলে তার সম্মতি হয়তো স্বেচ্ছায় আসেনি। একজন চিকিৎসক যদি বুঝতে পারেন যে, একটি শিশু বা তরুণী কসমেটিক সহায়তা চান না, তাহলে সেটা আর করা উচিত নয়,'' তিনি বলছেন। যৌনাঙ্গের অন্য আরো কয়েকটি অস্ত্রোপচার, যেমন লিবিয়াপ্লাস্টি (যার মাধ্যমে যৌনাঙ্গের আকার ছোট অথবা পরিবর্তন করা হয়) ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তরুণীদের মধ্যে । যুক্তরাজ্যের সব ধরণের পরিবেশ থেকে আসা তরুণীরা এর মধ্যে রয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এসব অস্ত্রোপচারের আগে নারীরা যথেষ্ট মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন না। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এসব অস্ত্রোপচারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে এখনো খুব একটা জানা নেই এবং এগুলো করার আগে নারীরা যথেষ্ট মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন না। মিস তাহেরি বলছেন, ''এই নারীরা কোন কোন পর্যায়ে নিজেদের একজন মানুষ হিসাবে না দেখে শুধুমাত্র আকাঙ্ক্ষার একটি বস্তু হিসাবে দেখছেন।'' ''মুসলমান নারীদের ক্ষেত্রে এর কারণ হচ্ছে লজ্জা পাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা অথবা শাস্তির ভয়।'' ''অন্যদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হলো, নিজেদের শরীর নিয়ে তাদের সন্তুষ্টির অভাব এবং তাদের নিয়ে সমাজ কী বলে, সেটাই বেশি গুরুত্ব দেয়া।''", "doc2": "Au moins 22 cliniques privées proposent la chirurgie réparatrice de l'hymen au Royaume-Uni Une action qui risque d'être lourde de conséquence. De nombreuses femmes musulmanes risquent d'être exclues, ou dans des cas extrêmes, tuées, si leur conjoint ou leurs familles découvrent qu'elles ont eu des relations sexuelles avant le mariage. Et certaines optent pour une procédure médicale dans laquelle les médecins restaurent une couche de membrane à l'entrée du vagin. Mais on craint qu'une interdiction n'augmente les dangers pour les femmes musulmanes en rendant cette procédure clandestine. Selon les directives du Conseil médical général (GMC), le consentement d'une patiente à subir une procédure doit être remis en question si l'on soupçonne qu'elle est \"donnée sous la pression ou la contrainte exercée par une autre personne\". Vivre dans la peur Halaleh Taheri, fondatrice de la Middle Eastern Women and Society Organisation, a parlé à BBC News d'une étudiante marocaine qui se cachait à Londres après avoir appris que son père avait engagé quelqu'un pour l'assassiner. Après être venue au Royaume-Uni en 2014 pour étudier, la femme, aujourd'hui âgée de 26 ans, avait rencontré un homme et ils avaient emménagé ensemble. Mais lorsque son père a découvert leur relation, il a exigé qu'elle retourne au Maroc, où il l'a emmenée dans une clinique pour un \"test de virginité\" et a découvert que son hymen n'était plus intact. A lire aussi Les femmes musulmanes sont humiliées dans cette procédure, selon les militants Elle s'est enfuie à Londres, mais vit désormais dans la crainte constante que son père découvre où elle vit. Une assistante d'enseignement née au Maroc, âgée de 40 ans, a déclaré à la BBC qu'après avoir été forcée de subir cette procédure dans la vingtaine, elle ne pouvait pas imaginer faire pression sur ses enfants pour qu'ils fassent de même. \"Je ne leur ferais jamais, jamais une telle chose. J'essaie de leur apprendre à être libres\". Nuit de noces Il existe actuellement au moins 22 cliniques privées au Royaume-Uni qui proposent des opérations de réparation de l'hymen. Elles facturent jusqu'à 3 000 livres sterling (3900 dollars) pour l'opération, qui dure environ une heure. Les militants des droits de la femme affirment que ces cliniques profitent des musulmanes qui ont peur de ce qui pourrait leur arriver si elles ne sont pas \"pures\" pour leur nuit de noces. Et beaucoup détaillent la procédure sur leurs sites web, le Gynae Centre de Londres disant aux femmes qui visitent son site que \"certains mariages sont même annulés\" lorsqu'un mari découvre que l'hymen de sa femme a été défloré. BBC News a contacté la clinique pour obtenir des commentaires, mais n'a pas reçu de réponse. Une pratique épouvantable Le ministre de la santé Matt Hancock a déclaré qu'il étudierait les moyens de mettre fin à cette \"pratique épouvantable\", mais le ministère de la santé a refusé de commenter la manière dont une éventuelle interdiction serait appliquée. \"Les filles pourraient finir par mourir si l'interdiction de cette procédure n'est pas faite avec les soins appropriés\", a déclaré Mlle Taheri. Dr Khalid Khan, professeur de santé des femmes à Barts et à la London School of Medicine, qui a été le témoin direct de la procédure, a déclaré qu'une interdiction \"n'est pas une réponse appropriée\". Et tant qu'une \"information de bonne qualité\" est mise à la disposition des patients, la décision devrait être laissée à chaque femme. \"Je crois que les motifs des médecins sont véritablement de se protéger contre les abus\", a-t-il ajouté. Zéro bénéfice Cependant, le Dr Naomi Crouch, qui préside la Société britannique de gynécologie pédiatrique et adolescente, craint que les femmes et les jeunes filles ne soient contraintes de subir une procédure dont le bénéfice médical est \"nul\". \"Les devoirs d'un médecin sont clairement définis dans les normes établies par le GMC\", a-t-elle déclaré. \"En tant que professionnels de la santé, nous sommes tenus par un serment de ne pas nuire aux patients et tout service de bonne réputation qui s'engage dans ces procédures est ouvert à l'audit et à l'examen\". Colin Melville, directeur médical et directeur de l'éducation et des normes au GMC, a déclaré qu'il est vital que les médecins prennent d'abord en compte les \"vulnérabilités et les besoins psychologiques de leurs patients\". On constate une augmentation du nombre de femmes ayant recours à la chirurgie esthétique sur leurs parties génitales \"Si un patient subit des pressions excessives de la part d'autres personnes pour suivre une intervention particulière, son consentement peut ne pas être volontaire. Si un médecin juge qu'un enfant ou un adolescent ne veut pas d'une intervention esthétique, celle-ci ne doit pas être pratiquée\", a-t-il déclaré. D'autres interventions génitales cosmétiques, telles que la labiaplastie, qui consiste à raccourcir ou à remodeler les lèvres du vagin, sont devenues de plus en plus populaires, en particulier chez les jeunes femmes, de tous les milieux au Royaume-Uni. Et les activistes affirment que les effets à long terme de ces procédures sont peu connus et s'inquiètent du fait que les femmes ne reçoivent pas suffisamment de soutien psychologique avant d'opter pour la chirurgie. Mme Taheri souligne que \"ces femmes, à un certain niveau, ne se voient pas comme autre chose qu'un objet à désirer, mais plutôt comme un être humain\". \"Pour les femmes musulmanes, le moteur est le sentiment de honte et la peur de la punition\". \"Pour d'autres, cela se résume à un manque de satisfaction de leur propre corps, alimenté par ce que la société leur dit être normal.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52873056", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52879479", "doc1": "দিনের বেলায় প্রতিবাদগুলো শান্তিপূর্ণই ছিলো অধিকাংশ জায়গাতেই প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো শুরু হয়েছিলো শান্তিপূর্ণভাবেই এবং কয়েকটা জায়গায় শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণই ছিলো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীরা শেষ পর্যন্ত পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে, ভাংচুর করেছে ও দোকানপাট লুটের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের জের ধরে পনেরটি রাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই এর সাথে ২০১১ সালে ইংল্যান্ড দাঙ্গার মিল খুঁজে পান-যেখানে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হবার প্রতিবাদে দাঙ্গার মধ্যে ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি, ব্যাপক সংঘাত আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান লন্ডনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ: বর্ণবাদের যাতাকলে ৩০ বছর প্রতিবাদের একটি দৃশ্য কিলি ইউনিভার্সিটির ক্রাউড বিহ্যাভিয়ার অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার পোলিশিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লিফর্ড স্টট বলছে মিস্টার ফ্লয়েডের মৃত্যুর মতো ঘটনা মূহুর্তটি তৈরি করেছে কারণ পুলিশ ও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সেটিই এখানে প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য আছে সেখানে সংঘাত অনেকটাই অবশ্যম্ভাবী, বলছিলেন তিনি। এর মানে হলো যখন পুলিশ যখনই উৎসাহী হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়েছে সেটি দাঙ্গাকারীদেরও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে শক্তি যুগিয়েছে। পুলিশী পদক্ষেপ যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল স্থানীয়দের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে সহিংস প্রতিবাদ কমই হতো- কিন্তু প্রতিবাদের ক্ষেত্রে পুলিশ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এখানে তাও গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্লেষকরা বলছেন। প্রফেসর স্টট বলছেন, \"দাঙ্গা হলো দু পক্ষের মিথষ্ক্রিয়ার ফল-বিশেষত পুলিশ যেভাবে জনতাকে সামলেছে\"। যেমন ধরুন, বড় প্রতিবাদের ক্ষেত্রে উত্তেজনার শুরু হয় কয়েকজনের পুলিশের সাথে ঠেলাঠেলির মধ্য দিয়ে। ইউসিএলএ'র ডিন ডারনেল হান্ট মনে করেন সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ তাদে��� আগ্রাসী ভূমিকা দেখিয়েছে। \"ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, রাবার বুলেট, টিয়ার শেল, মরিচের গুড়ো- এগুলো দিয়েই পুলিশ জবাব দিয়েছে যেখানে আগে থেকেই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর ছিলো\"। অ্যাপল স্টোরে লুটপাট একই প্যাটার্ন বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে দেখা যায়। যেমন হংকং। প্রফেসর স্টট মনে করেন প্রতিবাদে সহিংসতাকে এড়ানোর জন্য ধৈর্য্য ধারণের প্রশিক্ষণ পুলিশকে দেয়া হয়। ক্যামডেন, নিউ জার্সিসহ কয়েকটি জায়গায় যেমন পুলিশ নিজেও স্থানীয়দের সাথে বর্ণবাদ বিরোধী র‍্যালিতে অংশ নিয়েছে। রাইস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মারলুন মুজিমান বলছেন নৈতিক ও মনোজাগতিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলেই সহিংসতার কারণ উপলব্ধি করা যায়। পুলিশের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ \"কোনো কিছু যখন আমরা অনৈতিক মনে করি তখন তা আমাদের মধ্যে একটি শক্ত অনুভূতির জন্ম দেয়। কারণ আমরা মনে করে করি আমাদের নৈতিক অবস্থান সুরক্ষিত থাকা দরকার\"। লুটপাট ও ভাংচুর বেশি টার্গেট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে এবং বড় ধরণের লুটপাট হয়েছে লস এঞ্জেলস ও মিনেয়াপোলিসে। প্রফেসর স্টট বলছেন কিছু ক্ষেত্রে লুট করাটা ক্ষমতা দেখানোর অংশ- কৃষ্ণাঙ্গরা পুলিশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়তো সহজ নয় কিন্তু দাঙ্গার ক্ষেত্রে দাঙ্গাকারীরা একটা সময়ের পুলিশের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে পড়ে। কিভাবে সহিংসতা ঠেকানো যেতো ? পাবলিক অর্ডার বিশ্লেষকরা বলছেন পুলিশের জন্য প্রতিবাদকারীদের সাথে আলোচনাটা গুরুত্বপূর্ণ। \"ভালো পুলিশিং হলো 'আমরা ' ও 'তারা' মানসিকতা পরিহার করা,\" বলছিলেন প্রফেসর স্টট। প্রফেসর হান্ট বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের দাঙ্গা ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের মৃত্যু পরবর্তী সহিংসতার চেয়ে বেশি মারাত্মক।", "doc2": "Des manifestants courent alors que la police utilise des grenades éclair pour disperser les foules à Washington, DC Des couvre-feux ont été imposés dans près de 40 villes, mais les gens les ont largement ignorés, ce qui a conduit à un nombre de face à face tendues. La police anti-émeute a affronté les manifestants à New York, Chicago, Philadelphie et Los Angeles, tirant des gaz lacrymogènes et des balles de poivre pour tenter de disperser la foule. Des véhicules de police ont été incendiés et des magasins ont été pillés dans plusieurs villes. Lire aussi: Mort de George Floyd : la violence au milieu des protestations Minneapolis en feu après la mort de George Floyd La Garde nationale - la force militaire américaine de réserve pour les urgences intérieures - a déclaré dimanche que 5 000 de ses effectifs avaient été activés dans 15 États et à Washington, DC, où des foules se sont à nouveau rassemblées près de la Maison Blanche, allumant cette fois des feux et jetant des pierres aux officiers anti-émeutes. \"Les forces de l'ordre des États et des collectivités locales restent responsables de la sécurité\", a ajouté la Garde nationale. A regarder: Brandt Jean embraces his brother's killer in court La police de Washington DC a tiré des gaz lacrymogènes sur les manifestants qui ont mis le feu à des propriétés situées près de la Maison Blanche. Parmi celles-ci, une église historique, l'église épiscopale St John, connue comme l'église des présidents, près de la Maison Blanche. Il est apparu que lors des troubles de vendredi soir, le président Donald Trump a été brièvement emmené par les services secrets dans un bunker souterrain de la Maison Blanche, pour sa sécurité. Des manifestations dans 75 villes des États-Unis Selon Nick Bryant de la BBC, les États-Unis connaissent les troubles raciaux et civils les plus répandus depuis la violente réaction à l'assassinat de Martin Luther King en 1968. Plus de 75 villes ont connu des manifestations, les rues ayant été désertées il y a quelques jours à peine à cause du coronavirus, et les manifestants ont défilé côte à côte. L'affaire Floyd a ravivé la colère à propos des meurtres de Noirs américains par la police. Pour beaucoup, l'indignation reflète également des années de frustration face aux inégalités socio-économiques et à la ségrégation, notamment à Minneapolis même, où George Floyd est mort. A lire: 4 policiers du Minnesota licenciés après la mort d'un homme noir non armé Vers la fin des bavures policières aux Etats-Unis ? Quelles sont les dernières nouvelles des manifestations ? De nombreux véhicules de police ont été vandalisés et mis à feu dimanche. Les agents anti-émeutes ont continué à répondre avec des gaz lacrymogènes et des grenades éclair. Des magasins ont été pillés à Philadelphie, en Pennsylvanie À Philadelphie, les chaînes de télévision locales ont montré des gens en train de fracasser des voitures de police et de piller au moins un magasin. Donald Trump a tweeté : \"Law & Order in Philadelphia, NOW ! Ils pillent les magasins. Faites appel à notre grande Garde nationale\". Des pillages ont également été signalés à Santa Monica, en Californie. Au moins 4 400 personnes ont été arrêtées au cours de plusieurs jours de manifestations, selon un décompte établi par l'agence de presse Associated Press. Les arrestations ont porté sur toute une série d'infractions, allant du pillage et du blocage d'autoroutes au non-respect du couvre-feu. Autres articles sur la brutalités policières: Violences policières : une vidéo suscite l'émoi au Kenya Des heurts et plusieurs arrestations lors d’une manifestation en Gambie À Minneapolis, un chauffeur de camion a été arrêté après avoir, semble-t-il, franchi une barrière routière avant de se diriger à toute vitesse vers une foule de manifestants qui défilaient le long d'une grande autoroute. Il est maintenant accusé d'agression, rapporte CNN. Les images diffusées sur les médias sociaux montrent des dizaines de personnes entourant le véhicule et tirant le conducteur de son volant après son arrêt. Des manifestants auraient jeté des bouteilles sur des agents anti-émeutes à Boston avant d'incendier une voiture de police Le conducteur a ensuite été transporté à l'hôpital avec des blessures mineures. Aucune autre victime n'a été signalée dans l'immédiat. Le gouverneur du Minnesota, Tim Walz, a déclaré que le motif du conducteur n'était pas clair, ajoutant \"c'était tout simplement étonnant de ne pas avoir de tragédie ni beaucoup de morts.\" À Denver, des milliers de personnes ont protesté pacifiquement au Capitole de l'État du Colorado en s'allongeant face contre terre, les mains derrière le dos, et en chantant : \"Je ne peux pas respirer\" - une référence aux circonstances de la mort de M. Floyd. Des manifestations de grande envergure ont également eu lieu à Atlanta, Boston, Miami et Oklahoma City. Plusieurs cas de réaction disproportionnée de la police anti-émeute face aux manifestants ont également été signalés. À Atlanta, en Géorgie, deux officiers ont été licenciés dimanche pour avoir fait usage d'une force excessive - y compris le recours au Taser - sur deux jeunes étudiants. Un policier blanc licencié a été accusé d'avoir assassiné M. Floyd, 46 ans, à Minneapolis. Derek Chauvin, 44 ans, devait comparaître au tribunal lundi, mais sa comparution a été repoussée au 8 juin. Il fait suite aux affaires très médiatisées de Michael Brown à Ferguson, d'Eric Garner à New York et d'autres qui ont animé le mouvement Black Lives Matter. Terrence Floyd, le frère cadet de George, a parlé de sa mort à ABC News ; il condamne les violentes protestations et dit que son frère était partisan de la paix. \"Je suis moi aussi indigné\", a-t-il déclaré. \"Parfois, je suis en colère... J'ai envie de devenir fou. Mon frère n'était pas pour ça. Mon frère était pour la paix. Vous entendrez beaucoup de gens dire : \"C'était un gentil géant... \"Il fallait que je vienne ici pour parler aux gens, et que je le fasse savoir, que je canalise votre colère ailleurs. Ne déchirez pas votre ville.\" Qu'est-il arrivé à George Floyd ? Dans la soirée du lundi 25 mai, la police a reçu un appel téléphonique d'une épicerie de quartier alléguant que George Floyd avait payé avec un faux billet de 20 dollars. Qu'est-il arrivé à George Floyd ? Un mémorial à George Floyd près de l'endroit où il est mort pendant sa garde à vue à Minneapolis Des officiers ont tenté de le mettre dans un véhicule de police lorsqu'il s'est effondré sur le sol, en leur disant qu'il était claustrophobe. Selon la police, il a résisté physiquement aux agents et a été menotté. La vidéo de l'incident ne montre pas comment la confrontation a commencé. Avec le genou de M. Chauvin sur le cou, on peut entendre M. Floyd dire \"s'il vous plaît, je ne peux pas respirer\" et \"ne me tuez pas\". Selon une autopsie préliminaire effectuée par le médecin légiste du comté, le policier a eu le genou sur le cou de M. Floyd pendant huit minutes et 46 secondes - dont presque trois minutes après que M. Floyd ait perdu connaissance. Près de deux minutes avant que M. Chauvin ne retire son genou, les autres policiers ont vérifié le pouls du poignet droit de M. Floyd et n'ont pas pu en trouver un. Il a été transporté à l'hôpital et déclaré mort environ une heure plus tard. Un avocat de la famille de M. Floyd a accusé M. Chauvin de \"meurtre avec préméditation\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48334924", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48339250", "doc1": "চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে 'বিদেশি শত্রুদের' কাছ থেকে তার দেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক রক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পদক্ষেপের আসল টার্গেট ছিল আসলে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার স্মার্টফোনের কারণে। কিন্তু তারা আরও বহু রকম কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট তৈরি করে। যদি হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে নাও পারে, তারপরও বিশ্বজুড়ে কমিউউনিকেশন নেটওয়ার্কের ৪০ হতে ৬০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করবে হুয়াওয়ে। কী কারণে হুয়াওয়েকে নিয়ে এতটা চিন্তিত বিভিন্ন দেশ? এর পেছনে আছে খুবই জটিল কিছু অভিযোগ। এর মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি থেকে শুরু করে চুরি যাওয়া রোবট, হীরের প্রলেপ দেয়া গ্লাসস্ক্রিন থেকে ইরানের সঙ্গে গোপন চুক্তি- অনেক কিছুই আছে। ফাইভ-জি: সুপারফার্স্ট কিন্তু নিরাপদ নয়? মোবাইল টেলিফোনের ক্ষেত্রে পরবর্তী বিপ্লব হিসেবে ধরা হয় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ককে। হুয়াওয়ে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বসানোর জন্য অনেক দেশের সঙ্গেই আলোচনা চালাচ্ছে। এই নতুন নেটওয়ার্ক এত দ্রুতগতির হবে যে এটি ব্যবহার করা হবে বহু নতুন কাজে। যেমন চালকবিহীন গাড়ি চালানোর কাজে। এখন হুয়াওয়ে যদি কোন দেশের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে, চীন ঐ দেশের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে বলে দাবি করছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো। তারা চাইলে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে আদান-প্রদান করা বার্তা পড়তে পারবে, চাইলে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে পারবে বা সেখানে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে। ফাইভ-জি প্রযুক্তি পুরোপুরি বদলে দেবে আমাদের জীবনের অনেক কিছু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের আগেই অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা না করার জন্য একটা চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে 'ফাইভ আই'স' বলে পরিচিত একটি গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া গ্রুপের বাকী চারটি দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য, কানাডা,অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এই পাঁচটি দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আছে। এর বেশিরভাগটাই করা হয় ইলেকট্রনিক উপায়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এই পাঁচ দেশের কোন দেশ যদি হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন ইনফরমেশন সিস্টেমে বসায়, তাহলে সেই দেশের সঙ্গে তারা আর কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে পারবেন না। আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে'র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারে গুগলের বাধা সাইবার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি হুয়াওয়ে: চীন-মার্কিন শত্রুতার কেন্দ্রে যে কোম্পানি হুয়াওয়ে অবশ্য বারবার জোর দিয়ে বলেছে, তারা কখনোই চীন সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করবে না। কিন্তু সমালোচকরা একটি চীনা আইনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যার কারণে কোন কোম্পানির পক্ষে গোয়েন্দা তথ্য চেয়ে চীনা সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হবে। হুয়াওয়ে আরও বলছে, যদি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয় সেটি মার্কিন ভোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করবে। কারণ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুয়াওয়ের বিকল্প হিসেবে তার চেয়ে অনুন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়বে। হুয়াওয়ে-কে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যে এধরনের 'প্রযুক্তি গুপ্তচরবৃত্তির' ভয় করছে, তার কারণ হয়তো তারা নিজেরাই এরকম কাজ করেছে বছরের পর বছর। এনএসএ'র সাবেক কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেন তার ফাঁস করা তথ্যে দেখিয়েছেন কীভাবে মার্কিন নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বড় বড় মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির নেটওয়ার্ক হ্যাক করে তথ্য চুরি করতো। এর মধ্যে গুগল এবং ইয়াহুর মতো কোম্পানি পর্যন্ত ��ছে। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বী একটি দেশের কোম্পানিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আছে। রোবট এবং অস্ত্র কেলেংকারি অতিদ্রুত গতির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের উদাহরণ দিয়ে জিনিসটা বোঝানো হয়তো কঠিন। কিন্তু হুয়াওয়েকে ঘিরে অন্য কেলেংকারিটি বোঝা অতটা কঠিন নয়। তাদের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি রোবটের হাত চুরির অভিযোগ আনা হয়। তবে এই প্রকৌশলী অভিযোগ করছেন, এটি চুরি ছিল না, দুর্ঘটনাবশত ব্যাপারটি ঘটেছে। টি-মোবাইল অভিযোগ করছে হুয়াওয়ে তাদের প্রযুক্তি চুরি করেছে তিনি টি-মোবাইলের ডিজাইন ল্যাবে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি রোবটের হাত ব্যবহার করে স্মার্টফোনের স্ক্রীন পরীক্ষা করা হয়। এই যন্ত্রটি দুর্ঘটনাবশত তার ব্যাগের মধ্যে পড়ে যায়। যখন তিনি ল্যাব থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখন বিষয়টি খেয়াল করেননি। জার্মান কোম্পানি টি-মোবাইলের সঙ্গে তখন হুয়াওয়ের পার্টনারশীপ ছিল। টি-মোবাইল এই কথা বিশ্বাস করেনি। এরপর দুই কোম্পানির মধ্যে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। নতুন কিছু ইমেল ফাঁস হওয়ার পর এই কেলেংকারি নিয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এসব ইমেলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এই প্রকৌশলী হয়তো চীনে তার উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার নির্দেশে এই কাজ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গত বছর যে কানাডায় হুয়াওয়ের চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মেং ওয়ানজুকে গ্রেফতার করা হয়, তার একটি কারণ এটি। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে গোপন আঁতাত? মিজ মেং ওয়ানজু তাকে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। ইরানের সঙ্গে কোন গোপন আঁতাতের কথাও তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে তেহরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কীভাবে ফাঁকি দেয়া যায়, সেরকম এক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন স্কাইকম নামের একটি কোম্পানির মাধ্যমে। ইরানের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক লেন-দেনের অনেক কিছুর ব্যাপারে তিনি ব্যাংকগুলোকে এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যে কথা বলেছেন বলেও অভিযোগ আছে। মিজ মেং হচ্ছেন হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা। যদি তাকে বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তিরিশ বছর পর্যন্ত সাজ�� হতে পারে তার। অভঙ্গুর কাঁচের স্ক্রীন যে কোন প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য বিরাট সাফল্য নিয়ে আসতে পারে। স্মার্টফোনের ভাঙ্গা স্ক্রীন এবং অঙ্গীকার খেলাপ ব্লুমবার্গের দেয়া তথ্য অনুসারে, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই। এর একটি হচ্ছে তারা পরীক্ষা করে দেখার নামে ধার নেয়া একটি স্মার্টফোনের স্ক্রিনের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে পাচার করে দিয়েছিল। মোবাইল ফোনের স্ক্রিন খুব সহজেই ভেঙ্গে যায়। কাজেই এমন একটি স্ক্রিন যদি তৈরি করা যায়, যেটি কোনভাবেই ভাঙ্গবে না, সেটি যে কোন প্রযুক্তি কোম্পানির জন্যই একটি বিরাট আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে আখান সেমিকন্ডাক্টার নামের একটি কোম্পানি এরকম একটি কাঁচ তৈরি করে হুয়াওয়েকে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এটি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তারা হীরের প্রলেপ দেয়া যে কাঁচের স্ক্রিনটি হুয়াওয়েকে দেয়, সেটি যখন কয়েক মাস পর ফেরত আসে, দেখা গেল সেটি ভাঙ্গা। ব্লুমবার্গের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হুয়াওয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করছে এফবিআই এটি তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এভাবে এটি দেশের বাইরে নেয়া অবৈধ ছিল। হীরের প্রলেপ দেয়া কোন জিনিস এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নেয়া যায় না, কারণ এ ধরনের জিনিস লেজার অস্ত্রে ব্যবহার করা যায়। চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে এই অভিযোগও অস্বীকার করছে। এখানেই গল্পের শেষ নয় কিন্তু এসব কেলেংকারি, গুগলের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সত্ত্বেও বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে হুয়াওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি হিসেবে রয়েই যাবে। আফ্রিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশেই হুয়াওয়ের প্রযুক্তির দাম ইউরোপ এবং আমেরিকার প্রযুক্তির চেয়ে কম। কাজেই এসব দেশে হুয়াওয়ের ব্যবসা বাড়তেই থাকবে। এমনকি যুক্তরাজ্যে, যারা কীনা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, এখনো তীব্র বিতর্ক চলছে হুয়াওয়েকে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে দেয়া উচিত কীনা। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে এই বিতর্কে। হুয়াওয়েকে ব্যবসা দেয়া হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হুয়াওয়েকে ঘিরে আর সব কিছুর মতো, এক্ষেত্রেও কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।", "doc2": "Les utilisateurs des téléphones Huawei ne pourront plus bénéficier des services de Google. Cette décision a été annoncée dans la nuit de dimanche à lundi, à la suite de la publication, mercredi, d'un décret du président américain Donald Trump interdisant aux groupes télécoms de son pays de commercer avec des sociétés étrangères pouvant porter atteinte à la sécurité des États-Unis. Huawei, le deuxième fabricant mondial de smartphones, présent dans 170 pays à travers le monde, est soupçonné d'espionnage au profit de Pékin. Lire aussi: Les Etats-Unis accusent la Chine et la Russie En Chine, la croissance annuelle la plus lente depuis 1990 Google a signalé que ses applications \"Google Play et le système de sécurité Google Play Protect continueront de fonctionner sur les appareils Huawei existants\". Huawei est victime de la guerre commerciale entre les Etats-Unis et la Chine. Les responsables de la firme chinoise ont déclaré qu'ils continueront à fournir des mises à jour de sécurité et des services après-vente à tous les smartphones et tablettes Huawei vendus sur le marché ou qui sont encore en stock dans le monde. Conséquences pour les utilisateurs de Huawei, selon les techniciens Voir également: Le ton monte entre Washington et Pekin au sujet de Huawei"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53020847", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52966890", "doc1": "মিনেসোটার সেন্ট পল থেকে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি সরিয়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্টু জুড়ে, বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঐ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বাদেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে - যেখানে সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্ণবাদসহ সব ধরণের বৈষম্যের অবসানের দাবি তুলেছে মানুষ। আর গত কয়েকদিন ধরে এই বিক্ষোভে নতুন এক অনুষঙ্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আর তা হলো বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় অনেক ঐতিহাসিক নেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে কিংবা উপড়ে ফেলছে। ব্রিটেনের 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' বিক্ষোভকারীরা ব্রিস্টল শহরে এডওয়ার্ড কলস্টোনের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলে। আর খোদ আমেরিকায় ভাঙ্গা হয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ভাস্কর্য। দাবি তোলা হয়েছে যে কনফেডারেট জেনারেলদের নামে যেসব সেনানিবাস রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করতে হবে। বস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলা হয় বিশ ডলারের নোট চলমান বিক্ষোভ দুনিয়াকে কতটা পাল্টাবে তা হয়তো আরও পরে বোঝা যাবে, তবে যে ঘটনার কারণে এই বিক্ষোভের শুরু, সেটির সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ২০ ডলারের একটি নোট। জর্জ ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি ২০ ডলারের একটি জাল নোট দিয়ে একটি দোকান থেকে সিগারেট কেনার চেষ্টা করছিলেন। কর্তৃপক্ষ দোকানদার ও জর্জ ফ্লয়েডের কথোপকথনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় জর্জ ফ্ল��়েড যে নোটটি দিয়েছিলেন, দোকানের কর্মচারী সেটিকে জাল হিসেবে সন্দেহ করার পর ফ্লয়েডের কাছে বিক্রি করা সিগারেট ফেরত চান। পুলিশের কাছে দোকানদারের করা ফোনের ভিত্তিতে তৈরি করা সেই অনুলিপিটিতে বলা হয় যে দোকানদার সন্দেহ করেছিল যে ঐ ব্যক্তি 'মাতাল' এবং 'নিয়ন্ত্রণহীন' অবস্থায় রয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোকানটির মালিক মাইক আবুমায়ালেহ জানান, জর্জ ফ্লয়েড তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের ছিলেন এবং কখনোই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে মাইক আবুমায়ালেহ বলেন যে ঘটনার দিন তিনি দোকানে থাকলে পুলিশকে ফোন করার প্রয়োজনই হতো না এবং জর্জ ফ্লয়েডও হয়তো বেঁচে থাকতেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঐ দোকানে যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেন, দোকানের এক কিশোর কর্মচারী সেদিন পুলিশকে ফোন করেছিল, কারণ জাল নোট সন্দেহ হলে পুলিশকে ফোন করাই নিয়ম। ঐ প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলেন, পরে ফ্লয়েডের পরিণতি দেখে ঐ কর্মচারী 'আত্মগ্লানি'তে ভুগছিলেন। কালো মানুষ পণ্য ব্রিস্টল শহরের এডওয়ার্ড কলস্টন ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন দাস ব্যবসায়ী। ১৬৭২ থেকে ১৬৮৯ পর্যন্ত এডওয়ার্ড কলস্টনের জাহাজে করে প্রায় ৮০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে আমেরিকায় ক্রীতদাস হিসেবে পাঠানো হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ব্রিস্টল শহরের বিকাশ ও সমৃদ্ধির ইতিহাসের সঙ্গে দাস ব্যবসা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই কয়েক শতাব্দী ধরে ব্রিস্টলে কলস্টনের স্মৃতিকে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে ব্রিস্টলের অনেক মানুষ আবার অনেক দিন ধরেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলস্টনের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার পর অনেকে দাবি তুলছেন, ব্রিটেনে নানা জায়গায় বর্ণবাদ ও দাস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের যেসব ভাস্কর্য আছে - সেগুলোও অপসারণ করতে হবে। ঐ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও একইভাবে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবাদকারীরা। বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তির মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ওপরও সম্প্রতি চাপ এসেছে গৃহযুদ্ধের সময়কার কয়েকজন কনফেডারেট নেতার নামানুসারে দেয়া সেনাঘাঁটির নাম পরিবর্তন করার। `কৃষ্ণাঙ্গ আ���েরিকান হিসেবে আমি আতঙ্কিত` কেন মূর্তি ভাঙছে বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে যে বর্ণবাদ, দাসপ্রথা বা দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মূর্তি প্রকাশ্যে রাখা চলবে না। যদি ইতিহাসের প্রয়োজনে সেগুলোকে রাখতেই হয়, তবে সেগুলোকে যাদুঘরে স্থানান্তরিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে গত কয়েকদিনে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে আমেরিকায় এসে স্থানীয়দের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ কলম্বাসের স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অনেক স্কুলে কলম্বাসের জীবনীতে তাকে 'নতুন পৃথিবীর আবিষ্কারক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু আমেরিকার আদি অধিবাসীরা বহু বছর ধরেই এই চলের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, কলম্বাসের অভিযানই আমেরিকার ঔপনিবেশিক শাসনের এবং আদি আমেরিকান অধিবাসীদের গণহত্যার পেছনের কারণ। মিনেসোটা ও ভার্জিনিয়া রাজ্য এবং বস্টন ও মিয়ামি শহরে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বুধবার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কনফেডারেট প্রেসিডেন্ট জেফারসন ডেভিসের একটি মূর্তি উৎপাটন করে বিক্ষোভকারীরা। ব্রিস্টলে কলস্টনের মূর্তি নামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি রাজ্য ছিল যাদের পরিচিতি ছিল কনফেডারেট রাজ্য হিসেবে, যারা একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র গঠন করার দাবি জানিয়েছিল। পরে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেটদের পরাজয় হয়। কনফেডারেট রাজ্যগুলো দাস প্রথার সমর্থক ছিল এবং দাস প্রথাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষে ছিল তারা। আর এই কারণেই কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি অপসারণের দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের মতে, বর্ণবৈষম্য ও বর্ণবিদ্বেষহীন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্ণবাদকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা করা নেতাদের মহিমান্বিত করা বন্ধ করতে হবে। আর বিভিন্ন জায়গায় তাদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার মাধ্যমেই শুরু করতে হবে সেই কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহর এবং সংগঠন কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি এবং কনফেডারেট মতবাদ প্রকাশ করে এমন প্রতীক সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত থাকায় এ���ব প্রতীক অপসারষণের দাবি করা হয়ে আসছিল অনেকদিন ধরেই।", "doc2": "Nous avons examiné certaines données sur la criminalité et la justice aux États-Unis, et ce qu'elles révèlent sur l'expérience des Afro-Américains en matière d'ordre public. Lire aussi : Mort de George Floyd : la violence au milieu des protestations D'anciens présidents africains condamnent le meurtre de George Floyd 1. Les Afro-Américains sont plus susceptibles de se faire tirer dessus mortellement Les chiffres disponibles concernant les incidents au cours desquels la police tire et tue des personnes montrent que les Afro-Américains ont beaucoup plus de chances d'être tués par balle que l'ensemble de la population américaine. Le processus d'apprentissage des préjugés raciaux ressemble beaucoup à celui d'une nouvelle langue : il y a une période critique d'apprentissage précoce et une fenêtre ultérieure o A 6 moisle cerveau peut remarquer les différences basées sur la race Entre 2 et 4 ansles enfants peuvent intérioriser les préjugés raciaux. A 12 ansDe nombreux enfants sont déjà fermement convaincus. En fait, en 2019, bien que les Afro-Américains représentent moins de 14 % de la population (selon les chiffres officiels du recensement), ils étaient à l'origine de plus de 23 % des quelque 1 000 fusillades mortelles commises par la police. Et ce chiffre est relativement constant depuis 2017, alors que le nombre de victimes blanches a diminué depuis lors. 2. Les Afro-Américains sont plus souvent arrêtés pour abus de drogues Les Afro-Américains sont arrêtés pour abus de drogue à un taux beaucoup plus élevé que les Américains blancs, bien que les enquêtes montrent que la consommation de drogue est à un niveau similaire. En 2018, environ 750 Afro-Américains sur 100 000 ont été arrêtés pour abus de drogue, contre environ 350 Américains blancs sur 100 000. Les enquêtes nationales précédentes sur la consommation de drogue montrent que les Blancs consomment de la drogue à des taux similaires, mais les Afro-Américains continuent à être arrêtés à un taux plus élevé. Par exemple, une étude de l'Union américaine des libertés civiles a révélé que les Afro-Américains avaient 3,7 fois plus de chances d'être arrêtés pour possession de marijuana que les Blancs, même si leur taux de consommation de marijuana était comparable. Lire aussi: La violence éclate aux États-Unis le sixième jour des manifestations George Floyd : Liverpool s'agenouille à Anfield 3. Davantage d'Afro-Américains sont emprisonnés Les Afro-Américains sont emprisonnés à un taux cinq fois supérieur à celui des Américains blancs et à un taux presque deux fois supérieur à celui des Hispano-Américains, selon les dernières données. En 2018, les Afro-Américains représentaient environ 13 % de la population américaine, mais près d'un tiers de la population carcérale du pays. Les Blancs américains représentaient environ 30 % de la population carcérale - bien qu'ils représentent plus de 60 % de la population américaine totale. Cela représente plus de 1 000 prisonniers afro-américains pour 100 000 Afro-Américains, contre environ 200 détenus blancs pour 100 000 Blancs américains. La population carcérale américaine est définie comme les détenus condamnés à plus d'un an dans une prison fédérale ou d'État. Le taux d'incarcération des Afro-Américains a diminué au cours de la dernière décennie, mais ils représentent toujours plus de la population carcérale que toute autre race. Regarder aussi : \"En tant que Noire Américaine, je suis terrifiée\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54247090", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54251099", "doc1": "হামলার পর আহত নারী নারীর পরিবার অভিযোগ করেছে, স্ত্রীর গর্ভের সন্তান ছেলে কি-না, তা দেখতে চেয়েই স্বামী তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছিল। এই দম্পতির এরই মধ্যে পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং পরিবার বলছে যে একটি পুত্র সন্তানের জন্য স্বামী ওই নারীর ওপর চাপ দিচ্ছিল। পুরুষটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্ত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন যে এটা ছিল একটি দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায়। পুলিশে একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন যে ওই নারী রাজধানী দিল্লিতে হাসপাতালে রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। ওই নারীর বোন বিবিসি হিন্দিকে বলেন, তার বোন ও বোনের স্বামীর মধ্যে ছেলে সন্তান নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া হতো। তার ভাই জানাচ্ছেন, হামলার পর ওই নারীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রোববার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামী দাবি করছেন যে তিনি তার স্ত্রীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালাননি। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তিনি কাস্তেটা তার স্ত্রীর দিকে ছুঁড়েছিলেন, কিন্তু বুঝতে পারেননি যে সেটি তার পেটে গিয়ে লাগবে এবং স্ত্রী গুরুতর আহত হবে। ''আমার পাঁচটা মেয়ে সন্তান আছে। একটা ছেলে মারা গেল। আমি জানি সন্তান ঈশ্বরের দান। এখন যা হবার সেটাই হবে।'' পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। আরও পড়তে পারেন: কন্যা ভ্রূণ হত্যার প্রতিবাদে ভারতে আগে বিক্ষোভও হয়েছে ভারতীয় দম্পতিদের মধ্যে ছেলে সন্তানের আকাঙ্ক্ষার ফলে দেশটিতে নারী ও পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। সংখ্যার অনুপাতে মেয়ের তুলনায় ছেলে বেশি ভারতে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ-র জুন মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে ভারতে প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ মেয়ে 'নিখোঁজ' হয়ে গেছে। প্রতি বছর দেশটিতে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৪৬ লাখ কন্যা ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলা হয় এবং জন্মের পর কন্যা শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করার কারণে জন্মের পর কন্যা শিশুমৃত্যুর হার খুবই বেশি। ভারত সরকারের ২০১৮ সালে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলে সন্তান চেয়ে মেয়ে হয়েছে এমন ''অবাঞ্ছিত'' মেয়ে শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ওই রিপোর্টে দেখা যায় যে বহু দম্পতি একটি ছেলে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চা নিতেই থাকে। দিল্লিতে বিবিসির ভারতীয় নারী ও সমাজ বিষয়ক সম্পাদক গীতা পাণ্ডে বলছেন ভারতীয় সমাজে পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাত দীর্ঘদিনের একটা সংস্কৃতি। তিনি বলেন, পরিবারগুলোর এখনও বিশ্বাস যে ছেলে সন্তান পরিবারকে আর্থিকভাবে দেখবে, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মার দেখাশোনা করবে এবং বংশ পরিচয় বাঁচিয়ে রাখবে। অন্যদিকে, মেয়েরা বিয়ে করে পরের বাড়ি চলে যাবে এবং তার সাথে সাথে বাবা-মাকে মেয়ের বিয়ের সময় বিশাল যৌতুকের বোঝা বইতে হবে। নারীর অন্��ঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় এবং ছেলে সন্তানের আকাঙ্ক্ষা সমাজে এত প্রবল হবার কারণে ভারতে গত কয়েক বছরে নারী-পুরুষ সংখ্যার অনুপাত ব্যাপকভাবে ওলট-পালট হয়ে গেছে। কয়েক কোটি কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে - হয় গর্ভে থাকা অবস্থায় গর্ভপাত করে ভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে, নয়তো জন্মের পর মেয়েদের ইচ্ছা করে অবহেলা করে মেরে ফেলা হয়েছে। গীতা পাণ্ডে বলছেন, ১৯৬১ সালে ভারতে সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি ১০০০ ছেলে শিশুর বিপরীতে ছিল ৯৭৬টি মেয়ে শিশু। ২০১১ সালে চালানো সর্বশেষ আদম শুমারীতে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৪, অর্থাৎ মেয়ের সংখ্যা আরও কমেছে। এ বিষয় নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তারা এটাকে \"গণহত্যা\" বলে থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই কন্যা ভ্রূণ-হত্যা এবং শিশু-হত্যার সংস্কৃতিকে দেশের জন্য \"জাতীয় লজ্জা\" বলে বর্ণনা করেছিলেন এবং মেয়েদের বাঁচাতে একটা \"জিহাদের\" ডাক দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও \"ছেলে চাই\" এই মনোভাব বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং \"পুত্র সন্তানের আশায় কন্যা সন্তানকে হত্যা না করার'' কথা বলেছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি ''বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'' উদ্যোগও চালু করেছিলেন। কিন্তু গীতা পাণ্ডে বলছেন এসব কোন উদ্যোগই আসলে কাজ করেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছেলে-মেয়ে- থেকে-বেশি-আকাঙ্ক্ষিত -- সমাজের এই মনোভাব যতদিন না দূর হবে, যতদিন সমাজ মেয়ে সন্তানকে ছেলে সন্তানের মত একই দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা অর্জন না করবে, ততদিন ভারতীয় সমাজে মেয়েরা এভাবেই অবহেলা, বঞ্চনা ও মৃত্যুর শিকার হবে।", "doc2": "La femme blessée après l'attaque La famille de la femme a allégué que l'homme l'avait attaquée parce qu'il voulait vérifier le sexe du bébé. Ils disent que le couple a cinq filles et que l'homme a fait pression sur sa femme pour qu'elle accouche d'un fils. L'homme, qui a été arrêté, nie avoir intentionnellement blessé sa femme, disant au contraire qu'il s'agissait d'un accident. L'incident a eu lieu dans le district de Badaun, dans l'Uttar Pradesh, l'État le plus peuplé du nord de l'Inde. A lire aussi sur BBC Afrique: Des fonctionnaires de police ont déclaré à la BBC que la femme blessée était dans un état stable dans un hôpital de la capitale, Delhi, et que son mari avait été arrêté. La soeur de la femme a déclaré que le couple se disputait régulièrement à propos de l'arrivée d'un fils, a rapporté la BBC Hindi. Selon son frère, la femme a été emmenée à Delhi dimanche sur les conseils des médecins car son état était extrêmement critique. Le mari a déclaré qu'il n'avait pas attaqué sa femme intentionnellement. Il a dit aux médias locaux qu'il lui avait lancé la faucille, mais qu'il ne savait pas que cela la blesserait aussi gravement. \"J'ai cinq filles, un de mes fils est mort. Je sais que les enfants sont un don de Dieu. Maintenant, quoi qu'il arrive, cela arrivera.\" L'enquête de police est en cours. A regarder sur BBC Afrique: De patiente à guérisseuse : Comment cette femme sauve des vies Le désir des parents indiens d'avoir des fils au lieu de filles a créé un déséquilibre dans la proportion des sexes. Quelque 46 millions de filles ont disparu en Inde au cours des 50 dernières années, selon un rapport de juin du Fonds des Nations unies pour la population (FNUAP). Chaque année, pas moins de 460 000 filles sont tuées par avortement après une sélection sexuelle et une surmortalité féminine due à la négligence délibérée des filles après la naissance. Un rapport du gouvernement indien de 2018 a déclaré que le désir de fils avait créé 21 millions de filles \"non désirées\". Le rapport du ministère des finances a constaté que de nombreux couples continuaient à avoir des enfants jusqu'à ce qu'ils aient un garçon. Analyse Geeta Pandey, BBC Editor, India women and social affairs L'Inde est un pays qui a depuis longtemps une préférence culturelle pour les enfants de sexe masculin. Le désir de fils vient de la croyance qu'une progéniture masculine subviendra financièrement aux besoins de la famille, s'occupera des parents dans la vieillesse et portera le nom de la famille. Une fille, en revanche, finira par se marier et par partir, et souvent les parents devront verser de grosses dots. Cette préférence pour les fils, aidée par la technologie de sélection prénatale des sexes, a fait des ravages dans le déséquilibre du rapport de masculinité en Inde et, au fil des ans, des dizaines de millions de filles ont été tuées - dans l'utérus ou peu après la naissance, par négligence délibérée. En 1961, pour 1 000 garçons de moins de sept ans, il y avait 976 filles. Selon le dernier recensement de 2011, ce chiffre était tombé à 914. Les militants ont qualifié ce phénomène de \"génocide\". L'ancien premier ministre Manmohan Singh a qualifié le foeticide et l'infanticide des femmes de \"honte nationale\" et a appelé à une \"croisade\" pour sauver les filles. Le Premier ministre Narendra Modi a également conseillé aux Indiens \"de ne pas s'intéresser aux fils\" et de ne pas \"tuer les filles dans l'espoir d'un garçon\". Il y a cinq ans, il a lancé \"Beti Bachao, Beti Padhao\" (Sauver la fille, éduquer la fille) - une campagne pour sauver les filles. Dans une autre campagne, il a demandé aux pères de prendre des selfies avec leurs filles et de les lui envoyer. Mais aucune de ces campagnes n'a vraiment fonctionné. Les experts affirment que pour que les choses changent, l'Inde doit confronter sa préférence sociétale malsaine pour les garçons et convaincre les familles de célébrer les filles autant qu'elles célèbrent leurs fils."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55053805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-54796612", "doc1": "জো বাইডেন তিনি বলেছেন হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থার 'যা করার প্রয়োজন করুক'। দি জেনারেল সার্ভিস এডমিনিস্ট্রেশন বা জিএসএ বলছে তারা মিস্টার বাইডেনকে 'আপাত বিজয়ী' হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মূলত মিশিগানে নির্বাচনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফায়েড হওয়ার পরপরই মিস্টার বাইডেনের জয় চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে। বাইডেন টিম ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, \"মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতিতে গতি আনাসহ জাতির সামনে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আজকের এই সিদ্ধান্তটি ছিলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট হবার পর সবার আগে যেসব পদক্ষেপ নেবেন জো বাইডেন যে পাঁচটি কারণে নির্বাচনে জিতেছেন জো বাইডেন জো বাইডেন: আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক জীবন ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্প কী বলেছেন মিস্টার ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় থাক��� জিএসএ বাইডেন শিবিরকে জানিয়েছেন যে তারা প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। প্রশাসক এমিলি মারফি বলেছেন তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য ৬৩ লাখ ডলার অবমুক্ত করেছেন। তবে 'ভালো লড়াই' চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, \"জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এমিলি ও তার টিমের করনীয় কাজটাই করা উচিৎ। এবং আমার টিমকেও তাই বলেছি। মিস মারফিকে মিস্টার ট্রাম্পই জিএসএ প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনের ফল সার্টিফিকেশন ও আইনি চ্যালেঞ্জসহ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহকে তার সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তবে হোয়াইট হাউজের দিক থেকে কোনো চাপের বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস \"আমি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে কোনো নির্দেশনা পাইনি,\" তিনি মিস্টার বাইডেনকে দেয়া তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। \"তবে আমি অনলাইনে, ফোনে এবং ই-মেইলে হুমকি পেয়েছি যাতে আমার নিরাপত্তা, আমার পরিবার, কর্মকর্তা এমনকি আমার পোষা প্রাণীটিকে জড়ানো হয়েছে যাতে সময়ের আগেই আমি সিদ্ধান্ত নেই\"। \"এমনকি হাজার হাজার হুমকির মুখেও আমি আইনকে সর্বাগ্রে রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম\"। নির্বাচনের পর রুটিন কাজ হিসেবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজনৈতিক শিবির থেকেই এমিলি মারফির তুমুল সমালোচনা হচ্ছিলো। ডেমোক্র্যাটরা এটি শুরু করতে তাকে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো।", "doc2": "Donald Trump Le président annonce qu'il recommande qu'une agence fédérale clé \"fasse ce qui doit être fait\", même s'il a promis de continuer à contester le résultat. L'Agence des services généraux de l'Administration (GSA) indique qu'elle reconnaît M. Biden comme le \"gagnant apparent\". Auparavant, la victoire de M. Biden dans l'État américain du Michigan a été officiellement certifiée, ce qui porte un coup majeur à M. Trump. Qu'a dit M. Trump ? M. Trump tweete alors que la GSA, qui est chargée d'entamer officiellement les transitions présidentielles, informe le camp Biden qu'elle va entamer le processus. L'administrateur Emily Murphy indique qu'elle met 6,3 millions de dollars à la disposition du président élu. Tout en s'engageant à poursuivre le \"bon combat\", le président dit : \"Néanmoins, dans le meilleur intérêt de notre pays, je recommande à Emily et à son équipe de faire ce qui doit être fait en ce qui concerne les protocoles initiaux, et j'ai dit à mon équipe de faire de même\". Lire aussi \"Je tiens à remercier Emily Murphy, de la GSA, pour son dévouement et sa loyauté sans faille envers notre pays. Elle a été harcelée, menacée et maltraitée - et je ne veux pas que cela lui arrive, ni à sa famille, ni aux employés de la GSA. Notre affaire se poursuit FORTEMENT, nous continuerons à faire le bien...\" Mme Murphy, qui a été nommée à la tête de l'équipe Trump, cite \"les récents développements concernant les contestations judiciaires et la certification des résultats des élections\" dans sa décision d'envoyer la lettre. Mme Murphy annonce qu'elle n'a reçu aucune pression de la Maison Blanche sur le moment de sa décision. \"Pour être clair, je n'ai reçu aucune instruction visant à retarder ma décision\", écrit-elle dans sa lettre à M. Biden. \"J'ai cependant reçu des menaces en ligne, par téléphone et par courrier, visant ma sécurité, celle de ma famille, de mon personnel et même de mes animaux domestiques, dans le but de me contraindre à prendre cette décision prématurément. Même face à des milliers de menaces, je suis resté déterminé à faire respecter la loi\", précise-t-elle. Elle avait fait l'objet de critiques de la part des deux camps politiques pour n'avoir pas entamé le processus de transition plus tôt, une étape généralement routinière entre l'élection et l'installation du nouveau président. Mme Murphy a manqué le délai fixé lundi par les démocrates de la Chambre des représentants pour informer les législateurs de ce retard. L'équipe de M. Biden a accueilli sa lettre avec satisfaction. \"La décision d'aujourd'hui est une étape nécessaire pour commencer à relever les défis auxquels notre nation est confrontée, notamment pour maîtriser la pandémie et remettre notre économie sur les rails\", écrit-elle. \"Cette décision finale est une action administrative définitive pour commencer officiellement le processus de transition avec les agences fédérales\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41969822", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-41969372", "doc1": "এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ তবে যৌন সম্পর্কের কারণে হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ। সিডার্স-সিনাই হার্ট ইন্সটিউটের সুমিত চঘ বলেছেন, যৌন সম্পর্কের সাথে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্পর্কের ওপর এই প্রথম এরকম একটি গবেষণা পরিচালিত হলো। অ্যামেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের এক সভায় গবেষণার এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্র যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং হঠাৎ করে সেখানে হৃদকম্পন বন্ধ হয়ে যায় তখনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটে। তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়তে পারে এবং তার নিশ্বাস গ্রহণও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর দ্রুত চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুরও আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। হৃদযন্ত্রে যখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। ক্যালিফোর্নিয়ায় ড. চঘ এবং তার সহকর্মীরা ২০০২ থেকে ২০১৫ ��াল পর্যন্ত হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। তারা বলছেন, যৌন সম্পর্কের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি ১ শতাংশেরও কম। গবেষকরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং মধ্যবয়সী। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন হার্ট অ্যাটাকের পর যৌন সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে রোগীদেরকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করার জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ব্যাপারে কিছু তথ্য:", "doc2": "Le lien entre rapport sexuel et arrêt cardiaque représente moins de 1 % des cas étudiés. Cependant l'activité sexuelle reste un facteur déclencheur rare. Des chercheurs ont étudié les bilans médicaux de 4 557 cas entre 2002 et 2015 dans la ville de Portland (Oregon, Etats-Unis). Seuls 34 cas se sont produits pendant ou après une heure de rapport sexuel, soit moins de 1 %. Les hommes représentent 94 % de ces cas. Des chiffres : Sumeet Chugh de l'Institut de cardiologie Cedars-Sinai, affirme que son étude est la première à étudier l'activité sexuelle comme déclencheur potentiel d'un arrêt cardiaque. L'arrêt cardiaque diffère de la crise cardiaque qui, elle, résulte d'un problème d'approvisionnement en sang au niveau du cœur. Selon les conclusions de l'étude, la majorité des hommes victimes d'un arrêt cardiaque pendant ou après un rapport sexuel sont afro-américains avec des antécédents cardiovasculaire. Les saviez-vous ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45420805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43725362", "doc1": "বব উডওয়ার্ড ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিখ্যাত আমেরিকান অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের নতুন বইয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ভেতরের বহু বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে এসেছে - যার মধ্যে একটি হচ্ছে এটি। এ বই নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ চলছে এখন। বব উডওয়ার্ড হচ্ছেন সেই সাংবাদিক - যিনি ওয়াটারগেট কেলেংকারি ফাঁস করে ১৯৭০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পতন ডেকে এনেছিলেন। ওয়াশিংটনে ক্ষমতার কেন্দ্রে এমন সব লোকদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা - যে কোথায় কি ঘটছে তার কিছুই তার অজানা থাকে না। 'ফিয়ার: ট্রাম্প ইন দ্য হোয়াইট হাউস' নামের এ বইয়ে তিনি এমন সব লোকদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলেছেন, এবং বর্ণিত বৈঠকগুলোতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। 'চলো আমরা সিরিয়ায় গিয়ে আসাদকে মেরে ফেলি' ২০১৭ সালের এপ্রিলে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটলো। ধরা হলো, সিরিয়ান সরকারি বাহিনীই এ কাজ করেছে। মি ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসকে বললেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে হত্যা করার কথা। তিনি নাকি বলেছিলেন, তাদের কিছু একটা করা দরকার�� \"চলো আমরা সিরিয়ায় যাই, আসাদকে (গালি) মেরে ফেলি, ওদের সবাইকে (গালি) মেরে ফেলি। মি. ম্যাটিস প্রথম তা মেনে নিলেও পরে বলেছিলেন, তিনি এমন কিছু করবেন না। 'আপনি হাজিরা দেবেন না, দিলে আপনাকে জেলে যেতে হবে' ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় রাশিয়ার সাথে যোগাযোগের অভিযোগের যে তদন্ত করছে রবার্ট মুলারের বিশেষ কৌঁসুলিরা - তার সামনে হাজিরা দিতে হলে প্রেসিডেন্ট তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাব ঠিকমত দিতে পারবেন কিনা - তা দেখতে একটা 'পরীক্ষামূলক মহড়ার' আয়োজন করেছিলেন তার আইনজীবী জন ডাউড। সেই মহড়ায় দেখা গেল - চোখা চোখা প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে মি. ট্রাম্প হয়রান হয়ে পড়ছেন, এক পর্যায়ে ক্রুদ্ধভাবে এই তদন্তকে ভুয়া বলে বর্ণনা করছেন। জন ডাউড বললেন, \"আপনি সাক্ষ্য দিতে যাবেন না। এটা করলে আপনাকে কমলা রঙের জাম্পস্যুট পরতে হবে (অর্থাৎ জেলে যেতে হবে)।\" মি. ডাউড তখন মি মুলারের সাথে দেখা করে বললেন তিনি প্রেসিডেন্টের সাথে তদন্তকারীদের সাক্ষাতকারের বিরোধী। কারণ তিনি চান না যে প্রেসিডেন্টকে 'একটা নির্বোধের মত' দেখাক, এবং বিশ্বের সামনে গোটা জাতিকে লজ্জা পেতে হয়। কিন্তু পরে মি. ডাউড যখন জানলেন যে প্রেসিডেন্ট সাক্ষ্য দেবেন বলে মন স্থির করেছেন, তার পরদিনই তিনি পদত্যাগ করলেন। প্রেসিডেন্টের ডেস্ক থেকে কাগজ চুরি করেছিলেন তার উপদেষ্টারা উডওয়ার্ড বলছেন, মি ট্রাম্পের বিপজ্জনক প্রবণতার ধারণা পাওয়া যায় এ ঘটনায়। তিনি একটি দলিলে স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলেন যার মাধ্যমে উত্তর আমেরিকান ফ্রি ট্রেড চুক্তি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তিনি যাতে এতে স্বাক্ষর করতে না পারেন - সে জন্য তার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোহন এবং হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি রব পোর্টার দলিলগুলো সরিয়ে নিয়ে লুকিয়ে ফেলেন মি ট্রাম্পের ডেস্ক থেকে। উডওয়ার্ড ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন 'একটি প্রশাসনিক ক্যু দেতা-র চাইতে কম কিছু নয়' হিসেবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কখন এতো টুইট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প? ট্রাম্প বললেন, তিনি 'ধীর-স্থির একজন প্রতিভা' হোয়াইট হাউজের কর্মীদের চোখে ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেন এত আলোচনা? বদমেজাজী প্রেসিডেন্ট উডওয়ার্ড লিখেছেন, বদমেজাজী ট্রাম্প সব সময়ই ��োয়া্ইট হাউসে তার কর্মকর্তাদের বকাঝকা করেন। তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কোহনের মতে মি. ট্রাম্প একজন 'পেশাদার মিথ্যেবাদী'। বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসকে ট্রাম্প একবার বলেছিলেন, তিনি তাকে বিশ্বাস করেন না। \"আমি চাই না আপনি আর কোন আলোচনায় থাকুন। আপনার দিন শেষ হয়ে গেছে।\" তার প্রথম চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রাইবাসকে 'ইঁদুরের সাথে' তুলনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ও শুধু তিড়িংবিড়িং করে ছোটাছুটি করে।' এটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে প্রকাশ্যেই অপমান করেছিলেন ট্রাম্প। আর আড়ালে বলেছিলেন, \"এই লোকটা একটা মানসিক প্রতিবন্ধী, দক্ষিণ থেকে আসা একটা একটা নির্বোধ। মফস্বলের আইনজীবী হবার যোগ্যতাও তার নেই।\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে অন্যরা যা বলতেন মি ট্রাম্প নিজে অন্যদের নিয়ে যেরকম কটু কথা বলেন, তার স্টাফরাও পাল্টা বলতে ছাড়েন নি। উডওয়ার্ডের বইতে সেরকম কিছু তথ্যও আছে। তার চিফ অব স্টাফ কেলি একবার ট্রাম্প সম্পর্কে বলেন, 'তিনি একটি নির্বোধ (ইডিয়ট) এবং তাকে কোন কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা বৃথা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছিলেন, পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে ট্রাম্পের জ্ঞানবুদ্ধি ক্লাস ফাইভ-সিক্সে পড়া একটা ছেলের মত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেডরুমকে 'শয়তানের কারখানা' বলে বর্ণনা করেছেন মি. কেলির পূর্বসুরী রেইন্স প্রাইবাস। এখান থেকেই নিয়মিত টুইটার বার্তা ছাড়েন প্রেসিডেন্ট। উডওয়ার্ড আরো লিখেছেন, মি. ট্রাম্প নিজে মনে করেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার চেয়ে চমৎকার কাজ আর কেউ করতে পারেন নি। তার সাথে মি. ট্রাম্পের টেলিফোন কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাতে প্রেসিডেন্ট বলছেন, উডওয়ার্ডের বইয়ের কথা তাকে বলা হয় নি, তার সাক্ষাতকারও কখনো চাওয়া হয় নি। কিন্তু উডওয়ার্ড বলছেন, এ কথা একেবারেই ঠিক নয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত কোন দেশে লেখাপড়ার খরচ সবচেয়ে বেশি? সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা কি আগের চাইতে তীব্রতর?", "doc2": "Trump et Poutine Fin de Twitter publication, 1 \"La Russie jure d'abattre n'importe quel missile tiré sur la Syrie. Que la Russie se tienne prête, car ils arrivent, beaux, nouveaux et 'intelligents!' Vous ne devriez pas vous associer à un Animal qui Tue avec du Gaz, qui tue son peuple et aime cela\", a écrit M. Trump dans un tweet. Poutine prêt à rencontrer Trump Trump remercie Poutine qui a expulsé des diplomates américains Trump félicite Poutine contre l'avis de ses conseillers Le président russe Vladimir Poutine a mis en garde mercredi contre tout acte en Syrie. Selon lui, cela pouvait \"déstabiliser la situation déjà fragile dans la région\". Il a réagi aux menaces de frappes des Occidentaux contre le régime de Damas, accusé d'être responsable d'une attaque chimique. Moscou a opposé mardi son veto au Conseil de sécurité à un projet de résolution américain visant à créer un mécanisme d'enquête indépendant sur le recours supposé aux armes chimiques en Syrie."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42564973", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-42548574", "doc1": "মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন সহকারী সবসময় 'ফুটবল' নিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন কিন্তু তার কি আসলেই পারমানবিক বোমার কোন সুইচ আছে? একটি পরমাণু বোমা ছোড়া রিমোটে টিভির চ্যানেল পরিবর্তন করার মতো কোন সহজ কাজ নয়। অবাক ব্যাপার হলো, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে 'বিস্কুট' আর 'ফুটবলের' মতো বিষয়। তবে আক্ষরিক অর্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন পরমাণু বোমার সুইচ নেই। তাহলে তার কি আছে? ২০শে জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বারাক ওবামার সঙ্গে একটি কালো চামড়ার ব্রিফকেস নিয়ে একজন ব্যক্তিগত সহকারী প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই কালো ব্রিফকেসসহ মি. ট্রাম্পের সহকারী হয়ে যান। আরো পড়তে পারেন: বিকাশ ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন ১০ বিস্ফোরক তথ্য এই ব্রিফকেসটি 'নিউক্লিয়ার ফুটবল' নামে পরিচিত। পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে হলে এই ব্রিফকেসটি দরকার হবে। কখনোই এই 'ফুটবল' মার্কিন প্রেসিডেন্টের অদূরে থাকবে না। গত অগাস্টে একজন বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, যখন মি. ট্রাম্প গলফ খেলেন, তখনো এই 'ফুটবল' তার সঙ্গে পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। 'ফুটবলে'র মধ্যে কি আছে? কিন্তু কেউ যদি কখনো এই পরমাণু ফুটবলের ভেতরে উকি দেয়ার সুযোগ পান, তিনি হতাশ হবেন। কারণ সেখানে কোন সুইচ বা বোতাম নেই, কোন ঘড়ি নেই যেটা টিক টিক করে চলছে। সেখানে আছে কিছু যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, এবং কিছু বই যেখানে যুদ্ধের পরিকল্পনা আছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য এসব পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু 'বিস্কুটে'র মধ্যে কি আছে? 'বিস্কুট' হচ্ছে এমন কিছু কার্ড, যার মধ্যে কিছু গোপন কোড রয়েছে, যা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সবসময় থাকার কথা। এটা সবসময় 'ফুটবল' থেকে আলাদা থাকে। কখনো যদি প্রেসিডেন্ট কোন পরমাণু বোমা হামলার নির্দেশ দেন, এসব কোড দিয়ে তার নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একজন সাবেক সহকারী রবার্ট বাজ প্যাটারসন দাবি করেছেন, মি. ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একবার ���ার কোডগুলো হারিয়ে ফেলেন। তিনি এসব কোড অন্যসব ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে তার ট্রাউজারের পকেটে রাখতেন। মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে স্ক্যান্ডাল যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন মি. ক্লিনটন স্বীকার করেন যে, ওই কোডগুলো তিনি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না। কিভাবে প্রেসিডেন্ট পরমাণু বোমা হামলা করবেন? একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলা চালাতে পারেন। যখন তিনি নিজের পরিচয় নিশ্চিত করবেন, তিনি হামলা চালাতে জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেবেন। এরপর এই আদেশটি যাবে নেব্রাস্কায় ইউএস স্ট্যাটেজিক কমান্ড হেডকোয়ার্টারে। তারা সংশ্লিষ্ট হামলাকারী ইউনিটকে নির্দেশটি পাঠাবে। সেটা সাগর, স্থল বা পানির নীচের কোন সাবমেরিনও হতে পারে। সংকেতের মাধ্যমে হামলা চালানোর আদেশটি দেয়া হবে, যে সংকেতের একটি কপি ওই হামলাকারী ইউনিটেও সংরক্ষিত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশ কি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ। সংক্ষেপে, তিনি যা বলবেন, সেটাই হবে। কিন্তু সেখানেও কিছু ফাঁক রয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পরমাণু হামলার কর্তৃত্ব পরীক্ষা করে দেখেছে। কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইউএস স্ট্রাটেজিক কমান্ডের সাবেক প্রধান সি রবার্ট কেহলার বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্টে পরমাণু বোমা হামলার আদেশ অনুসরণ করবেন, যদি তা আইনসম্মত হয়। ''অন্য কোনরকম পরিস্থিতি দেখা দিলে, আমি হয়তো বলতে পারি যে, আদেশটি বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রস্তুত নই।''তিনি বলছেন। একজন সিনেটর তার কাছে জানতে চান, ''তখন কি হবে''? তার সরল উত্তর, ''আমি জানি না''। কংগ্রেস কমিটির সদস্য তখন হেসে ফেলেন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল কিসের ইঙ্গিত জাপানে চালের পিঠা খেয়ে কেন লোক মারা যায় বাংলাদেশে সব বিদেশি মাছেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক? মুসলিম তরুণের সঙ্গে দেখা করায় মেয়েদের উপর হামলা", "doc2": "Le président américain Donald Trump a moqué mardi son homologue nord-coréen, affirmant avoir un bouton nucléaire «plus gros et plus puissant» que Kim Jong-Un. Lors de son discours du Nouvel an à la nation, le dirigeant nord-coréen a réaffirmé que son pays était un état nucléaire à part entière, avertissant qu'il avait en permanence à sa portée le \"bouton\" atomique. Cette déclaration a suscité un tweet moqueur de Donald Trump. \"Le leader nord-coréen Kim Jong-Un vient d'affirmer que le +bouton nucléaire est sur son bureau en permanence+ (...) informez-le que moi aussi j'ai un bouton nucléaire, mais il est beaucoup plus gros et plus puissant que le sien, et il fonctionne!\", a tweeté le président américain. De son côté, l'ambassadrice américaine à l'ONU, Nikki Haley a averti que les Etats-Unis n'accepteront jamais une Corée du Nord dotée de l'arme nucléaire. Ces derniers mois, Kim Jong-Un a multiplié les tirs de missiles et a mené son sixième essai nucléaire, le plus puissant à ce jour."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51945947", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51947362", "doc1": "করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যেমন নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ আসছে, তেমনি পাশাপাশি নানাধরনের ভুয়া খবর এবং অনির্ভরযোগ্য তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে। তবে বিবিসির রিয়ালিটি চেক বিভাগকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ মোকাবেলার জন্য আইবুপ্রুফেন না খাওয়ার পরামর্শই তারা দিচ্ছেন। তবে তারা একথাও বলেছেন যে, যারা শারীরিক সমস্যার জন্য ইতোমধ্যেই আইবুপ্রুফেন খাচ্ছেন, তারা যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ না করেন। আইবুপ্রুফেন অনেকেই খান ব্যথা বা প্রদাহ উপশমের জন্য। সাধারণত জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগার মত উপসর্গ উপশমের জন্য প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই ভাল কাজ করে। তাপমাত্রা কমাতে দুটো ওষুধই উপযুক্ত। কিন্তু তারা বলছেন আইবুপ্রুফেন এবং স্টেরয়েডবিহীন অন্য প্রদাহনাশক ওষুধ সকলের জন্য উপযুক্ত নয় এবং এসব ওষুধ থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে- বিশেষ করে যাদের হাঁপানি, হৃদরোগ এবং রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে । ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বা এনএইচএস-এর ওয়েবসাইটে আগে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাস জ্বরে প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরে তারা এই পরামর্শ বদলিয়ে বলেছে: \"আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসকে আরও খারাপ করবে কিনা সে সম্পর্কে জোরালো কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও নেই, তবে যতক্ষণ না আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় প্যারাসিটামল খান। যদি না আপনার চিকিৎসক বলেন যে প্যারাসিটামল আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।\" আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আরও ভয়ানক করে তোলে কিনা বা এই ওষুধ খেলে রোগ আরও দীর্ঘায়িত হয় কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যাদের স্বাস্থ্য ভাল কিংবা যাদের কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে তাদের ওপর আইবুপ্রুফেন কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা এখনও অজানা। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ডা. শারলোট ওয়ারেন-গাশ বলছেন, \"যাদের কোনধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, তাদের প্যারাসিটামল খাওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হয়।\" প্যারাসিটামল দোকানগুলোতে বেশ সহজেই কিনতে পাওয়া যায় ভুয়া খবর- কী দেখেছে বিবিসি কিন্তু ডাক্তারদের পরামর্শ যাই হোক, অনলাইনে নানাধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। ইউরোপে ছড়ানো বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো এসব খবরে দাবি করা হয়েছে: ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একইধরনের খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় এসব খবর যে ফরওয়ার্ড করে, সে দাবি করে যে এই খবর দিয়েছেন চিকিৎসা জগতের সঙ্গে জড়িত কেউ। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের বহু পোস্টে দেখা যায় এসব তথ্য দিচ্ছেন ''পরিবারের একজন ডাক্তার'' যিনি ভেতরের খবর জানেন বলে দাবি করা হয়। আইবুপ্রুফেন ও কোভিড-১৯ কোভিড নাইনটিন রোগের সঙ্গে আইবুপ্রুফেন ওষুধের সম্পর্ক নিয়ে কোন গবেষণা হয়নি। তবে শ্বাসযন্ত্রের অন্য প্রদাহে এই ওষুধের ব্যবহার থেকে দেখা গেছে, ওই ধরনের সমস্যায় আইবুপ্রুফেন রোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বা রোগ আরও মারাত্মক হয়েছে। কিন্তু সেটা শুধু এই ওষুধের কারণে হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন আইবুপ্রুফেনে প্রদাহ নাশক যেসব উপাদান আছে সেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তবে রেডিং বিশ্বদ্যিালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ একথাও বলেছেন যে, \"২৫ বছরের একজন স্বাস্থ্যবান তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর আইবুপ্রুফেন খাওয়ার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে বা নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এমন কোন স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ আমি দেখিনি।\" ফ্রান্স থেকে এই ওষুধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাসে প্রদাহ-নাশক ওষুধ খাওয়া উচিত কিনা এমন সন্দেহ প্রকাশ করে টুইট করেন যা ৪৩ হাজার বার শেয়ার করা হয়, যদিও তিনি এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেবার কথা বলেছিলেন। এমন টুইটও ৯৪,০০০ বার শেয়ার হয়েছে যেখানে বলা হয় তরুণ, মাঝবয়সী, এমনকী স্বাস্থ্য ঝুঁকি যাদের নেই তাদের জন্যও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আইবুপ্রুফেন মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পার��। বিবিসির 'রিয়ালিটি চেক' লিখছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে একমত পোষণ না করায় এই আইবুপ্রুফেনের ব্যবহার নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মানুষের কাছে মিশ্র বার্তা পৌঁছেছে এবং অনলাইনে নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। বিবিসির রেচেল শ্রেইয়ার, জ্যাক গুডম্যান এবং অ্যালিস্টেয়ার কোলম্যানের রিপোর্ট", "doc2": "Aussi bien le paracétamol que l'ibuprofène peut aider à baisser la fièvre et à lutter contre des symptômes comme le rhume. En même temps que des conseils médicaux fiables, beaucoup de fausses informations ont circulé ces derniers temps. Aussi bien le paracétamol que l'ibuprofène peut aider à baisser la fièvre et à lutter contre des symptômes comme le rhume. Mais l'ibuprofène et les autres anti-inflammatoires non stéroïdiens (AINS) ne sont pas indiqué à tout le monde et peuvent causer des effets secondaires spécialement pour les personnes souffrant d'asthme et de problèmes cardiaques. Le service public de santé britannique, le NHS, avait dans un premier temps recommandé la prise des deux médicaments sur son site web mais il a changé son conseil en indiquant : \"il n'y a actuellement aucune preuve solide que l'ibuprofène peut aggraver le coronavirus (Covid-19)... jusqu'à ce que nous ayons plus d'informations, prenez du paracétamol pour traiter les symptômes du coronavirus, à moins que votre médecin ne vous ait dit que le paracétamol ne vous convient pas\". Le NHS a aussi déclaré que les personnes prenant déjà ibuprofène sur avis médical ne doivent pas arrêter sans s'en référer à un médecin. Bien que nous ne sachions pas encore si l'ibuprofène a un effet particulier sur la gravité ou la durée des maladies causées par le coronavirus - que ce soit chez les personnes en bonne santé ou celles souffrant de maladies sous-jacentes - le Dr Charlotte Warren-Gash, de la London School of Hygiene and Tropical Medicine, estime qu'il semble raisonnable de s'en tenir au paracétamol comme premier choix\", en particulier pour les patients vulnérables. Mais quel que soit le conseil, il y a encore beaucoup de désinformation en ligne. Des messages bidons ont circulé sur WhatsApp pour le prétendre : Ces histoires circulant sur WhatsApp apparaissent également sur différentes plateformes, dont Instagram. Généralement, ce type de texte copié-collé prétend provenir d'une personne que la personne qui envoie dit connaître et souvent ce sont de gens avec une formation médicale. Toutes ces affirmations sont fausses La Société irlandaise des maladies infectieuses a déclaré qu'un message WhatsApp circulant sur les patients atteints de coronavirus à Cork est \"un faux message\", demandant à quiconque le reçoit de \"l'ignorer et de le supprimer\". L'hôpital universitaire de Toulouse a averti que des informations inexactes circulaient sur les réseaux sociaux, affirmant qu'il n'aurait pas discuté de la prise en charge des patients en raison du secret médical. Que sait-on à propos de l'ibuprofène et du covid-19 ? Il n'y a aucune recherché sur les effets de l'ibuprofène sur le nouveau coronavurs (covid-19). Mais il y en a certains sur les infections respiratoires, suggérant que l'ibuprofène est lié à plus de complications et de maladies sévères, cependant nous ne savons pas si c'est l'ibuprofène qui le cause, selon Paul Little, un professeur de recherche en soins primaires à l'Université de Southampton. Certains experts pensent que les propriétés anti-inflammatoires de l'ibuprofène pourraient affecter la réponse immunitaire de l'organisme. Le professeur Parastou Donyai de l'université de Reading déclare que de nombreuses études suggèrent que l'utilisation de l'ibuprofène lors d'une infection respiratoire peut entraîner une aggravation de la maladie ou d'autres complications\". Paracetamol has sold out in many pharmacies La diffusion de rumeurs a semé la confusion Les inquiétudes concernant l'utilisation de l'ibuprofène semblent avoir fait surface en France, après que Jean-Louis Montastruc, un médecin du CHU de Toulouse a averti sur Twitter : \"en cette période de coronavirus, il faut se souvenir du risque de complications des AINS en cas de fièvre ou d'infection\". Un tweet ultérieur du ministre français de la santé, Olivier Veran, affirmant que les anti-inflammatoires \"pourraient être un facteur aggravant de l'infection\" a été partagé plus de 43 000 fois. Mais il a également déclaré que les gens devraient consulter un médecin avant d'arrêter de les prendre. D'autres tweets sont également partagés, dont un affirmant que l'ibuprofène \"peut causer des cas graves de la maladie, même chez les jeunes et les adultes d'âge moyen sans conditions sous-jacentes\", qui a été partagé plus de 94 000 fois sur Twitter. De nombreuses personnes sur les médias sociaux semblaient avoir \"un médecin dans la famille\" avec des informations privilégiées L'absence de consensus clair sur la question de la part la profession médicale a conduit à la diffusion de messages contradictoires et de rumeurs en ligne, et la revendication du laboratoire de l'Université de Vienne mentionnée plus haut semble avoir circulé en anglais et en allemand. Les messages sur Twitter et Facebook - qui semblent être coupés-collés et adaptés par les utilisateurs - prétendent tous avoir un \"médecin dans la famille\" qui a reçu l'information du laboratoire de Vienne qui soutiendrait que \"la grande majorité des personnes qui sont mortes de Covid-19 avaient de l'ibuprofène dans leur système\". Certains articles prétendent que le coronavirus \"se développe grâce à l'ibuprofène\". Il n'y a aucune preuve que c'est le cas. Cette rumeur en ligne est également apparue en Allemagne sur WhatsApp sous forme de messages vocaux et de SMS. Ces messages prétendaient généralement provenir d'une jeune mère disant que le laboratoire de Vienne avait fait des recherches sur les décès de Covid-19 en Italie et avait découvert que la majorité d'entre eux avait pris de l'ibuprofène sans prescription médical. Le message n'offre aucune preuve spécifique pour étayer ses affirmations, selon le site d'information pharmaceutique allemand aponet.de. \"Un tel schéma est typique des théories de conspiration\", conclut-il."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52548139", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-52579081", "doc1": "মধ্যপ্রাচ্যে ভাইরাস ছড়িয়েছে মাহান এয়ারের একটি ফ্লাইট বলে বিবিসির তদন্তে প্রকাশ ওই ফ্লাইটের সাথে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীরও সম্পর্ক আছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ওই বিমানটি উড্ডয়ন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ইরান থেকে যাত্রী নিয়ে লেবানন এবং ইরাকে গিয়েছিল এবং এর ফলে দুটি দেশেই প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত লোকের অস্তিত্ব সরকারিভাবে চিহ্নিত হয়। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তেহরান সরকার চীনগামী বা চীন থেকে আসা সব বিমানের ওপর সরকারিভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু ফ্লাইট ট্র্যাকিং উপাত্ত থেকে দেখা যায় ইরানের একটি মাত্র এয়ারলাইন, মাহান এয়ার সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছিল। তাদের বিমান সরাসরি চীন গিয়েছিল এবং বিবিসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে এই মাহান এয়ারের ফ্লাইটের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। এই এয়ালাইনটির সাথে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সম্পর্ক আছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনে হচ্ছে না, ইমিউনিটি এখন বাংলাদেশের একমাত্র পথ: বিশেষজ্ঞ কী কারণে নমুনা সংগ্রহের কাজ হারালো আইইডিসিআর? যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় মাহান এয়ারের কিছু সূত্র বলছে, কিছু কেবিন ক্রু বিমানের ভেতরে সংক্রমিত যাত্রী দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিবিসির তদন্তে আরও দেখা গেছে মাহান এয়ারের বিমানে করে লেবানন এবং ইরাকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল - এবং এরপরই ওই দুটি দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমবেশি ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয় ৯৭ হাজার লোক এবং মারা যায় ৬ হাজারেরও বেশি। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয়", "doc2": "En analysant les données de vol et vidéos, la BBC peut révéler comment Mahan Air a emmené les premiers passagers infectés par Covid-19 d'Iran vers l'Irak et le Liban. Mahan air n'a pas répondu aux questions de la BBC. Autres articles sur le coronavirus: \"Ma vie est plus importante que les compétitions\" Des patients atteints du coronavirus en colère au Nigéria"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51091599", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51090549", "doc1": "ইথিওপিয়া পরিকল্পিত এই বাঁধটি নির্মিত হলে সেটা হবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত বছর দীর্ঘ আলোচনার পর নীল নদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য এ বছরের ১৫ই জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ইথিওপিয়া পরিকল্পিত এই বাঁধটি নির্মিত হলে সেটা হবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে নীল নদের উৎস নদী ব্লু নীলে ২০১১ সালে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে ইথিওপিয়া, যেখান থেকে নীল নদের ৮৫ শতাংশ পানি প্রবাহিত হয়। তবে বিশাল এই বাঁধ নিয়ে মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে, যার মধ্যে পড়েছে সুদান। অনেকের আশঙ্কা, এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কেন এ নিয়ে এতো বিবাদ? এই বিতর্কের মুল কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল একটি বাঁধ যা নিয়ে মিশরের আশঙ্কা যে, এর ফলে ইথিওপিয়া, নদীটির পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর পানি সরিয়ে ফেলে না তবে এর ফলে নদীটির স্রোত প্রবাহের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার, যা অনেকটা লন্ডনের সমান এবং ৭৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন, সেটা ভরতে সময় যত বেশি লাগবে, নদীটির প্রবাহের ওপর ততই কম প্রভাব পড়বে। ছয় বছর ধরে সেটি করতে চায় ইথিওপিয়া। কিন্তু মিশর চায়, এর চেয়েও বেশি সময় ধরে যেন সেটি করা হয়, ফলে নদীর পানি প্রবাহের ওপর হঠাৎ করে কোন প্রভাব পড়বে না, বিশেষ করে জলাধার ভরার সময়ে। আরো পড়ুন: ফারাক্কা: যে ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগি করে ভারত-বাংলাদেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না? ‘আর কত বাঁধ দেবে তিস্তার ওপরে?’ ইথিওপিয়ার পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, জুলাই মাস নাগাদ তারা জলাধারে পানি ভরতে শুরু করবেন মিশর, সুদান এবং ইথিওপিয়া মিলে চার বছর ধরে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কেনা অগ্রগতি হয়নি। ফলে এখন মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইথিওপিয়ার পানিসম্পদ ও জ্বালানিমন্ত্রী বেকেলে সেলেশি অভিযোগ করেছেন, কোন চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা নেই মিশরের। তবে মিশরের পানি সম্পদ মন্ত্রী মোহামেদ আবদেডল আতেকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আলোচনায় সবগুলো পক্ষ সব বিষয়ে স্বচ্ছতা অর্জন করেছে, যার মধ্যে বাঁধের পানি ভরাটের মতো বিষয়ও রয়েছে। মিশর কেন এতো ক্ষুব্ধ? পানির জন্য নীল নদের ওপর ৯০ ভাগ নির্ভর করে মিশর। ঐতিহাসিকভাবেই মনে করা হয় যে, নীল নদের স্থিতিশীল পানি প্রবাহ থাকাটা মিশরের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নীল নদের পানিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। ১৯২৯ সালের একটি চুক্তি (পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালের আরেকটি চুক্তিতে) মিশর এবং সুদানকে নীল নদের পানির প্রায় সমস্ত অধিকার দেয়া হয়। ঔপনিবেশিক আমলের সেসব নথিপত্রে নদীটির উজানে যে প্রকল্প পানি প্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে, সেখানে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। কিন্তু কোন নথিপত্রেই চুক্তির বাইরে থাকা দেশগুলোকে অংশ করা হয়নি, যার মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়াও, যাদের ব্লু নীলের পানি নীল নদে অনেক বেশি অবদান রাখে। ইথিওপিয়া বলছে, শতবর্ষ পুরনো ওসব চুক্তি মানতে তারা বাধ্য নয় এবং ২০১১ সালে আরব জাগরণের পরপরই তারা বাঁধের কাজকর্ম শুরু করে। কিন্তু মিশরের আসল চিন্তা হলো, নীল নদে যদি পানি প্রবাহ কমে যায়, তাহলে সেটি লেক নাসেরকে প্রভাবিত করবে। যার ফলে মিশরের আসওয়ান বাঁধে পানির প্রবাহ কমে যাবে, যেখান থেকে মিশরের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। মিশরের আরো আশঙ্কা, ইথিওপিয়ার বাঁধের কারণে নীল নদের পানি প্রবাহ কমে যাবে, যা দেশটির নাগরিকদের পানির প্রধান উৎস। নীল নদের পানির প্রবাহ যদি অনেক কমে যায়, তাহলে সেটি দেশটির নদীপথে পরিবহন ব্যবস্থাকেও হুমকির মুখে ফেলবে এবং কৃষকদের কৃষি ও পশুপালনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ব্লু নীল নদের ওপর বাঁধ তৈরি করছে ইথিওপিয়া কেন এতো বড়ো বাঁধ তৈরি করতে চায় ইথিওপিয়া? প্রায় চারশো কোটি ডলার খরচ করে বাঁধটি তৈরি করতে চাইছে ইথিওপিয়া। এটি নির্মাণ শেষ হলে প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। দেশটির ৬৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে বাস করে। এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তা দেশটির নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকেও রপ্তানি করা যাবে। নিজেদের সক্ষমতার একটি প্রতীক হিসাবেও এই বাঁধকে দেখতে চায় ইথিওপিয়া। এই বাঁধ তৈরিতে বাইরের অর্থায়ন নিচ্ছে না দেশটি। সরকারি বন্ড এবং প্রাইভেট ফান্ড থেকে বাঁধটি তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই বাঁধের ব্যাপারে অন্য দেশের কথা বলাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে ইথিওপিয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: পাকিস্তানে টেস্টে বাধা কি নিরাপত্তা নাকি রাজনীতি? বরফে এসওএস লিখে কী করে উদ্ধার হলেন টাইসন ব্রিটেনে থাকতে বাংলাদেশী শেফের ১৬ বছরের লড়াই এক টেস্টে মুশফিকরা পাবেন ছয় লাখ, কোহলিরা কতো? নীল নদ মিশরের পানির প্রধান উৎস ইথিওপিয়া ছাড়া আর কোন দেশ কি উপকৃত হবে? হবে। প্রতিবেশী সুদান, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া, জিবুতি এবং ইরিত্রিয়া এই বাঁধ থেকে উপকৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অনেক দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। সুদানের জন্য একটি সুবিধা হলো যে, এই বাঁধের কারণে সেখানকার নদীর পানি প্রবাহ সারা বছর ধরে একই রকম থাকবে। কারণ সাধারণত অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে অনেক সময় বন্যা দেখা দেয়। বিতর্ক কি যুদ্ধে গড়াতে পারে? আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই বিতর্কের সমাধান না হলে দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ২০১৩ সালে গোপন ভিডিওতে দেখা যায় যে, বাঁধ তৈরি কেন্দ্র করে ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে একগাদা বৈরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করছে মিশরের রাজনৈতিকরা। মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি বলেছেন, নীল নদের পানি নিয়ে তাদের অধিকার রক্ষায় মিশর সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর গত বছরের অক্টোবরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিয় আহমেদ বলেছেন, কোন শক্তিই ইথিওপিয়াকে বাঁধ নির্মাণ থেকে দমাতে পারবে না। ২০২০ সালের মধ্যে বাধের কাজ শেষ করছে চায় ইথিওপিয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রা��সিস গ্রুপ গত বছর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বাঁধ নিয়ে দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এতে জড়িয়ে পড়া থেকে বোঝা যায় যে, পরিস্থিতি কতখানি গুরুতর এবং অচলাবস্থা ভাঙ্গা কতটা জরুরি। এই অচল অবস্থা কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে মিশর, যা প্রথমে মানতে চায়নি ইথিওপিয়া। তবে পরে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দুইটি দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সেটি লাখ লাখ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এর ফলে সুয়েজ খাল, হর্ন অফ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এখন তাহলে কি ঘটবে? আসছে ১৫ই জানুয়ারি একটি ডেটলাইন ঠিক করা হয়েছে, যে সময়ের মধ্যে উভয় দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বর মাসে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। তারা যদি ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম না হন, তাহলে আলোচকরা নতুন এক মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ অথবা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠাবেন।", "doc2": "Le barrage de la Grande Renaissance est une source de fierté nationale pour l'Éthiopie L'année dernière, la date limite du 15 janvier avait été fixée pour résoudre l'impasse de longue date entre les deux pays, mais la dernière série de pourparlers, la semaine dernière, s'est soldée par un statu quo. Lorsqu'il sera achevé, le barrage Grand Renaissance, que l'Éthiopie est en train de construire, sera la plus grande centrale hydroélectrique d'Afrique. Sa construction a commencé en 2011 sur l'affluent du Nil Bleu, dans les hautes terres du nord de l'Éthiopie, d'où s'écoulent 85 % des eaux du Nil. Cependant, le méga barrage a provoqué une dispute entre l'Égypte et l'Éthiopie, le Soudan étant pris entre les deux, ce qui, selon certains, pourrait conduire à une guerre. Les États-Unis ont donc décidé de contribuer à la médiation. A lire aussi Pourquoi l'Égypte et l'Éthiopie se disputent le Nil? Egypte-Ethiopie : un barrage engendre la polémique Ethiopie : inauguration du barrage Gibe 3 Pourquoi le projet est-il si controversé ? Au centre de la dispute se trouvent les plans de remplissage des bassins du méga barrage car l'Égypte craint que le projet ne permette à l'Éthiopie de contrôler le débit du plus long fleuve d'Afrique. Les centrales hydroélectriques ne consomment pas d'eau, mais la vitesse à laquelle l'Éthiopie remplit le réservoir du barrage aura une incidence sur le débit en aval. De plus, il faudra du temps pour remplir le réservoir, moins il y aura d'impact sur le niveau du fleuve. L'Éthiopie veut le faire en six ans. \"Nous avons un plan pour commencer à remplir le réservoir à la prochaine saison des pluies et nous commencerons à produire de l'électricité avec deux turbines en décembre 2020\", a déclaré le ministre éthiopien de l'Eau, Seleshi Bekele, en septembre 2019. Mais l'Égypte a proposé une période plus longue - afin que le niveau du fleuve ne baisse pas de façon spectaculaire, en particulier dans la phase initiale de remplissage du réservoir. Les pourparlers à trois entre l'Égypte, le Soudan et l'Éthiopie sur l'exploitation du barrage et le remplissage de son réservoir n'ont pas progressé depuis plus de quatre ans. Après les discussions de la semaine dernière, M. Seleshi a accusé l'Égypte de n'avoir aucune intention de parvenir à un accord. Le ministre éthiopien de l'eau dit qu'ils vont commencer à remplir le barrage d'ici juillet \"Je ne pense pas que lorsque les Egyptiens sont venus ici, ils étaient prêts à conclure un accord\", a déclaré M. Seleshi à l'émission Kalkidan Yibeltal de la BBC. \"Et puis, il y a un nouveau calendrier de remplissage qu'ils ont préparé et apporté. Ce nouveau calendrier exigeait que le remplissage du barrage prenne de 12 à 21 ans. Ce n'est pas acceptable, quelle que soit la mesure\". Le ministre égyptien de l'Eau, Mohamed Abdel Aty, a cependant été cité, déclarant que les parties étaient parvenues à clarifier toutes les questions, y compris le remplissage du barrage. Explorer le Nil avec une vidéo 360 de la BBC Cette vidéo à 360° est une version de la première série de documentaires RV de BBC News. Pour voir les films complets, cliquez ici. Pourquoi l'Égypte est-elle si inquiète ? L'Égypte dépend du Nil pour 90% de son eau. Elle a historiquement affirmé qu'avoir un débit stable des eaux du Nil est une question de survie dans un pays où l'eau est rare. Un traité de 1929 (et un autre en 1959) a donné à l'Egypte et au Soudan des droits sur presque toutes les eaux du Nil. Le document de l'époque coloniale donnait également à l'Égypte un droit de veto sur tout projet des pays en amont qui affecterait sa part des eaux. Aucun des deux accords ne tenait compte des besoins en eau des autres États riverains qui n'étaient pas parties à l'accord, y compris l'Éthiopie, dont le Nil Bleu fournit une grande partie des eaux du fleuve. L'Éthiopie a déclaré qu'elle ne devait pas être liée par ce traité vieux de plusieurs décennies et a commencé à construire son barrage au début du printemps arabe en mars 2011 sans consulter l'Égypte. Le Nil traverse la ville égyptienne d'Assouan à environ 920 km au sud de la capitale, Le Caire Le président égyptien Abdul Fattah al-Sisi aurait déclaré en septembre 2019 que la construction n'aurait jamais commencé si l'Égypte n'avait pas été distraite par les troubles politiques. L'une des principales préoccupations du pays nord-africain est que si le débit de l'eau baisse, cela pourrait affecter le lac Nasser, le réservoir situé plus en aval, derrière le barrage d'Assouan, qui produit la majeure partie de l'électricité égyptienne. L'Éthiopie affirme que l'une des conditions préalables que l'Égypte avait posées à l'accord était que le barrage soit relié au barrage d'Assouan. M. Seleshi a déclaré à la BBC qu'il avait expliqué aux Égyptiens qu'il était \"difficile de relier les deux barrages\". \"Après cela, ils ont un peu reculé sur la question mais ils ont ramené l'idée aujourd'hui dans une certaine mesure\", a-t-il dit. L'Egypte craint également que le barrage ne restreigne son approvisionnement déjà limité en eau du Nil, qui est presque la seule source d'eau pour ses citoyens. Il pourrait également affecter le transport sur le Nil en Egypte si le niveau de l'eau est trop bas et affecter les moyens de subsistance des agriculteurs qui dépendent de l'eau pour l'irrigation. Pourquoi l'Ethiopie veut-elle un si grand barrage ? Le barrage de 4 milliards de dollars est au cœur des rêves industriels et manufacturiers de l'Éthiopie. Une fois terminé, il devrait pouvoir générer une énorme quantité d'électricité de 6.000 mégawatts. L'Éthiopie connaît une grave pénurie d'électricité, 65% de sa population n'étant pas connectée au réseau. L'énergie produite sera suffisante pour que ses citoyens soient connectés et que le surplus d'électricité soit vendu aux pays voisins. L'Éthiopie considère également le barrage comme une question de souveraineté nationale. Le projet de barrage ne dépend pas de financements extérieurs et s'appuie sur des obligations gouvernementales et des fonds privés pour réaliser le projet. Le pays a critiqué ce qu'il considère comme une ingérence étrangère dans cette affaire. Est-ce que quelqu'un d'autre en profite ? Oui. Les pays voisins, dont le Soudan, le Sud-Soudan, le Kenya, Djibouti et l'Érythrée, sont susceptibles de bénéficier de l'électricité produite par le barrage. L'Ethiopie espère que le barrage sera terminé en 2020 Beaucoup de ces pays ont d'énormes déficits en matière d'électricité. Pour le Soudan, il y a l'avantage supplémentaire que le débit du fleuve serait régulé par le barrage - ce qui signifie qu'il serait le même toute l'année. Habituellement, le pays souffre de graves inondations en août et septembre. Le conflit pourrait-il conduire à une guerre ? On craint que les pays ne soient entraînés dans un conflit si le différend n'est pas résolu. En 2013, il a été fait état d'un enregistrement secret montrant des politiciens égyptiens proposant une série d'actes hostiles contre l'Éthiopie au sujet de la construction du barrage. Le président Sisi aurait également déclaré que l'Égypte prendrait toutes les mesures nécessaires pour protéger leurs droits sur les eaux du Nil. En octobre dernier, le Premier ministre éthiopien Abiy Ahmed a déclaré aux députés qu' \"aucune force\" ne pourrait empêcher l'Éthiopie de construire le barrage. L'International Crisis Group a averti l'an dernier que les pays \"pourraient être entraînés dans un conflit\" à propos du barrage. Sur le Nil Bleu, le chantier du barrage de la discorde Le fait que les Etats-Unis soient intervenus montre la gravité de la situation - et la nécessité de sortir de l'impasse. L'Égypte a demandé l'intervention des États-Unis pour sortir de l'impasse, après que le président Sisi ait demandé au président Trump de servir de médiateur dans le conflit, ce que l'Éthiopie a d'abord été réticente à accepter. Un conflit entre les deux États, qui sont tous deux des alliés des États-Unis, pourrait susciter un intérêt mondial car il mettrait en danger des millions de civils. Il menacerait la route commerciale internationale vitale qui passe par le canal de Suez et le long de la Corne de l'Afrique, selon l'analyse du Washington Institute. Que va-t-il se passer maintenant ? La prochaine étape sera pour les ministres de l'eau, avec les ministres des affaires étrangères de leurs pays, d'essayer de parvenir à un accord avant la date limite fixée l'année dernière : le 15 janvier 2020. Le calendrier a été fixé en novembre après une réunion entre les parties et le secrétaire au Trésor américain Steven Mnunchin et le président de la Banque mondiale David Malpass. Les parties représentant les pays au cœur du conflit devraient donc se réunir à nouveau à Washington. \"La première [option] est la médiation, à voir avec un médiateur. La deuxième est une question de facilitation\". \"Ces questions nécessitent un accord des trois pays. L'article 10 ne dit pas qu'il sera basé sur le désir d'un pays\", a déclaré le ministre éthiopien de l'eau à la BBC. Donald Trump espère que les USA pourront négocier un accord entre les deux alliés S'ils ne parviennent toujours pas à un accord d'ici le 15 janvier, les négociateurs demanderont un autre médiateur ou soumettront la question aux chefs d'État, comme convenu en novembre dernier. \"Ce qui sera le plus approprié pour nous, c'est de présenter le rapport à notre dirigeant, car il pourrait y avoir [des progrès] s'ils [les dirigeants] résolvent le problème\", a déclaré M. Seleshi. Dimanche, le Premier ministre éthiopien Abiy Ahmed a demandé au président sud-africain Cyril Ramaphosa d'aider également à la médiation dans ce conflit. M. Abiy a déclaré que, en tant que nouveau président de l'Union africaine, M. Ramaphosa pourrait aider à résoudre le problème de manière pacifique."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56651355", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56430011", "doc1": "ঢাকাই মসলিন ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কাপড় ঢাকায় এখনো জামদানি নামে মসলিনের শাড়ি তৈরি হয় বটে - কিন্তু তার সাথে দুশো বছর আগের ঢাকাই মসলিনের অনেক তফাত। সেই মসলিন তৈরির পদ্ধতি ছিল একেবারে অন্যরকম - তাতে ব্যবহৃত হতো বিশেষ ধরনের তুলা - যা এখন আর পাওয়া যায় না। কীভাবে বিলুপ্ত হলো প্রাচীন ঢাকাই মসলিন? একে কি আবার পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব? মসলিনের স্বচ্ছতা ছিল কেলেংকারির বিষয় অষ্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপে শুরু হয়েছিল এমন এক নতুন ফ্যাশন - যা আবার জন্ম দিয়েছিল এক আন্তর্জাতিক কেলেংকারির। সমাজের একটি গোটা শ্রেণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তারা নগ্ন অবস্থায় জনসমক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন এর জন্য দায়ী জিনিসটি ছিল ঢাকাই মসলিন - এক ধরনের দামী কাপড় - যা তৎকালীন ঔপনিবেশিক ভারতের বেঙ্গল প্রদেশের ঢাকা শহর থেকেই আসতো - যা আজকের বাংলাদেশের রাজধানী। মসলিনের শাড়ি এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয় - যার নাম জামদানি - তবে আধুনিক কালের মসলিনের সাথে সেই প্রাচীন যুগের মসলিনের অনেক তফাৎ। সেকালে মসলিন তৈরি হতো ১৬ ধাপের এক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। তাতে ব্যবহৃত হতো এক দুর্লভ জাতের তুলা থেকে তৈরি সূতা। সেই তুলা জন্মাতো মেঘনা নদীর পাড়ে। সে যুগে মসলিনের মর্যাদা ছিল ধনরত্নের মতই। আর ঢাকাই মসলিনের সমাদর ছিল সারা পৃথিবী জুড়ে। সেই সুখ্যাতি তৈরি হয়েছিল হাজার হাজার বছর ধরে। প্রাচীন গ্রিসে মনে করা হতো মসলিনই হচ্ছে দেবীদের মূর্তিকে পরানোর উপযুক্ত কাপড় । দূরদূরান্তের বহু রাজ্যের রাজারা পরতেন এই মসলিন। আর ভারতের মোগল রাজবংশে তো অনেক প্রজন্ম ধরে পরা হয়েছিল মসলিনের পোশাক। উনবিংশ শতকে ইউরোপে ব্যঙ্গাত্মক প্রিন্টে স্বচ্ছ মসলিন-পরা মহিলাদের প্রায় নগ্ন হিসেবে দেখানো হতো। সে যুগেও মসলিন ছিল অনেক রকমের। তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে সূক্ষ্ম আর দামী মসলিনের প্রশংসা করে নানা নাম দিতেন রাজকীয় কবিরা। একটি নাম ছিল 'বাফৎ হাওয়া' - অর্থাৎ 'বাতাস দিয়ে বোনা কাপড়'। নামেই বোঝা যাচ্ছে, এসব উচ্চস্তরের মসলিন ছিল হাওয়ার মতই হালকা আর নরম। একজন ভ্রমণকারী বর্ণনা করেছেন তিনশ' ফুট লম্বা (৯১ মিটার) মসলিনের থান গোটানো-অবস্থায় এতই নরম ছিল যে তা একটা আংটির মধ্যে দিয়ে গলে যেতো। আরেকজন লিখেছেন ৬০ ফুট লম্বা একটি মসলিন ভাঁজ করে রাখা যেতো একটি নস্যির কৌটায়। তার ওপরে - ঢাকাই মসলিন ছিল একেবারে স্বচ্ছ। ঐতিহ্যগতভাবে অত্যন্ত দামী এই কাপড় দিয়ে তৈরি হতো শাড়ি আর পুরুষদের জামা। কিন্তু ব্রিটেনে এই মসলিন আসার পর তা সমাজের বিত্তশালীদের পোশাকের ধরন পাল্টে দিল। তাদের মধ্যে এমন এক ধরনের হালকা লম্বা ধরনের 'শেমিজ-গাউন' পোশাক জনপ্রিয় হলো - যা অনেকটা তারও আগের যুগে অন্তর্বাস বলে গণ্য হতো। ঢাকাই মসলিনের পোশাক পরা নেপোলিয়নের স্ত্রী জোসেফিন বোনাপার্ত সেযুগে ব্যঙ্গাত্মক ছবি এঁকে জনপ্রিয় হয়েছিলেন আইজাক ক্রুইকশ্যাংক বলে একজন শিল্পী। তার একটি প্রিন্ট আছে যার শিরোনাম \"১৮০০ সালের শীতের পোশাকে প্যারিসের মহিলারা\"। এতে কয়েকজন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তারা উজ্জ্বল রঙের লম্বা ছাঁটের মসলিনের পোশাক পরে আছেন। সে পোশাক এতই স্বচ্ছ যে তাদের নিতম্ব, স্তনের বোঁটা, এমনকি যৌনকেশ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। তার পরেও ঢাকাই মসলিন ছিল 'হিট' পোশাক - অবশ্য তাদের জন্য যাদের এটা কেনার মত অর্থ ছিল। সে যুগে সবচাইতে দামী পোশাক ছিল মসলিন। এর বিখ্যাত ভক্তদের মধ্যে ছিলেন ফ্রান্সের রানি মেরি আঁতোয়ানেৎ, ফরাসী সম্রাজ্ঞী জোসেফিন বোনাপার্ত, এবং লেখিকা ইংরেজ লেখিকা জেন অস্টেন। ক��ন্তু মসলিন সেই 'এনলাইটমেন্ট' যুগের ইউরোপে যেমন হঠাৎ চমক সৃষ্টি করেছিল - তেমনি হঠাৎ করেই তা আবার অদৃশ্যও হয়ে গেল। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পুরো পৃথিবী থেকেই অদৃশ্য হয়ে যায় ঢাকাই মসলিন। তার যে ক'টি নমুনা টিকে ছিল - তার স্থান হয়েছে ইউরোপের জাদুঘরে, বা মূল্যবান ব্যক্তিগত সংগ্রহে। মসলিন বোনার যে জটিল প্রক্রিয়া - তা-ও লোকে এক সময় ভুলে গেল। শুধু তাই নয় - মসলিন বানাতে যে \"ফুটি কার্পাস\" নামে বিশেষ ধরনের তুলা ব্যবহৃত হতো - হঠাৎ করে তাও গেল বিলুপ্ত হয়ে। এই ফুটি কার্পাসের বোটানিক্যাল নাম ছিল গোসিপিয়াম আরবোরেটাম ভার নেগ্লেক্টা। এটা ছাড়া আর কোন তুলা দিয়ে মসলিন তৈরি হতো না। প্রশ্ন হলো, কেন আর কি করেই বা এমন হলো? একে আবার ফিরিয়ে আনার কি কোন উপায়ই নেই? এক নাজুক আঁশ ঢাকাই মসলিনে ব্যবহৃত তুলার গাছ জন্মাতো মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা মাটিতে। এই মেঘনা হচ্ছে গঙ্গা অববাহিকার সবচেয়ে বড় নদীগুলোর একটি। এর পাতা দেখতে অনেকটা মেপলের মত। প্রতি বসন্তকালে ধূসর পলিমাটিতে এই গাছ জন্মাতো, আর পূর্ণবয়স্ক গাছে বছরে দু'বার একটি করে ড্যাফোডিলের মত হলুদ রঙের ফুল হতো। সেই ফুল থেকে পাওয়া যেতো তুষারশুভ্র তুলা। এই তুলা কোন সাধারণ তুলা নয়। পৃথিবীতে এখন যে তুলা উৎপাদিত হয় - তার ৯০ শতাংশই হচ্ছে মধ্য আমেরিকা থেকে আসা গোসিপিয়াম হিরসুটাম জাতের তুলা। তার আঁশ হচ্ছে সরু আর লম্বা আকৃতির। পুরোনো যুগের মসলিনের থ্রেড কাউন্ট হতো ১২০০ পর্যন্ত, তবে সম্প্রতি ঢাকায় ৩০০ কাউন্ট পর্যন্ত মসলিন বানানো হয়েছে কিন্তু ফুটি কার্পাস থেকে যে সূতা হয় তা খাটো আর মোটা ধরনের, তার আঁশ সহজেই আলগা হয়ে যায়। এ বর্ণনা শুনলে মনে হতে পারে, এ তুলা কোন কাজে লাগার মতো নয়। আসলেই, ছোট আঁশওয়ালা এই তুলা মেশিন ব্যবহার করে সস্তা কাপড় বোনার উপযোগী ছিল না। এটা হাতে ধরে কাজ করা কঠিন, একে পেঁচিয়ে সূতা বানাতে গেলে খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় লোকেরা এই তুলাকেই কাপড় বোনার উপযুক্ত করে তুললেন - তাদের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে । পুরো প্রক্রিয়াটাতে ১৬টি ধাপ আছে। সেই টেকনিক এতই বিশেষ ধরনের যে তা করতে জানতেন শুধু ঢাকার কাছে অন্য আরেকটি গ্রামের লোকেরা। এতে যোগ দিতেন গ্রামের ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ সবাই। প্রথমে সেই তুলোর দলাগুলো পরিষ্কার করা হতো বোয়াল মাছের দাঁত দিয়ে - যে রাক্ষুসে মাছ তখন ওই এলাকার নদীতে বা বিলে পাওয়া যেতো। ফুটি কার্পাস থেকে সূতা তৈরি করা খুব কঠিন এর পর সেই তুলাকে চরকা দিয়ে সূতায় পরিণত করা হয়। এই তুলার আঁশ যেহেতু ছোট ছোট তাই একে টেনে লম্বা করার জন্য বাতাসে উচ্চ আর্দ্রতা দরকার হতো। সে জন্য এই কাজটা করা হতো নৌকার ওপর, ভোরে বা সন্ধ্যায় যখন বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। চরকা কাটার কাজ করতেন দক্ষ অল্পবয়সী মহিলারা। কারণ এই সূতা এতই সূক্ষ্ম হতো যে বয়স্ক মানুষরা তা দেখতে পেতেন না। \"এভাবে বোনা সূতাতে একটা রুক্ষতা থাকতো -যা হাতে ধরলে একটা চমৎকার অনুভূতি হতো\" - বলছিলেন ডিজাইন ইতিহাসবিদ সোনিয়া এ্যাশমোর, যিনি ২০১২ সালে মসলিনের ওপর একটি বই লিখেছেন। এর পর হচ্ছে আসল কাজটা - সেই সূতা দিয়ে কাপড় বোনা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জামদানি শাড়ি আসল নাকি নকল চিনবেন যেভাবে ব্যাঙ্গালোরে বর্জ্য পানি ব্যবহৃত হচ্ছে সিল্ক শাড়ি তৈরির কাজে শত কোটি টাকার শাড়ি কিনেও নারীদের খুশি করা যায়নি এই প্রক্রিয়ায় কখনো কখনো মাসের পর মাস লেগে যেতো। কারণ মসলিন কাপড়ে যে বিশেষ ধনরনের জ্যামিতিক ফুলেই ডিজাইন থাকতো তা সরাসরি কাপড় তৈরির সময়ই যোগ করা হতো। এতে যে টেকনিক ব্যবহৃত হতো তা মধ্যযুগের ইউরোপে রাজকীয় কাপড়ের ডিজাইনের পদ্ধতির সাথে মিলে যায়। এর পলে যে কাপড় তৈরি হতো - তা দেখতে হতো হাজার হাজার রেশমি-রূপালি সূতোর স্তরের ওপর তৈরি করা সূক্ষ্ম শিল্পকর্মের মতো। এশিয়ার বিস্ময় পশ্চিমা ক্রেতারা সে যুগে মসলিন দেখে বিশ্বাস করতে পারতেন না যে ঢাকাই মসলিন মানুষেরই হাতে বোনা। এমন গুজবও ছিল যে এই মসলিন বুনেছে মৎস্যকন্যা, পরী বা ভূতেরা। \"মসলিন ছিল এত নরম আর এত হালকা যে এ যুগের কোন কাপড়ের সাথেই তার কোন তুলনা চলে না\" - বলছিলেন রুবি গজনভী, বাংলাদেশের ন্যাশনাল ক্র্যাফট কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। মেঘনার পারে বিলুপ্তপ্রায় ফুটি কার্পাসের গাছের সন্ধানে গবেষকদল মসলিন বোনার আসল কৃতিত্ব ছিল এর বুননের সূক্ষ্মতায় - এত মিহি বুননের কাপড় কিভাবে এর কারিগররা বানাতে পেরেছিলেন। এই হিসাবকে একে বলে থ্রেড কাউন্ট - অর্থাৎ প্রতি বর্গইঞ্চি কাপড়ে লম্বালম্বি এবং আড়াআড়ি কতগুলো সূতা ব্যবহৃত হয়েছে। ঢাকাই মসলিনকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি প্রকল্পের প্রধান হচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি ব্যাখ্যা করছেন, \"আজকাল যে মসলিন তৈরি হয় তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে�� থ্রেড কাউন্ট থাকে ৪০ থেকে ৮০র মধ্যে । যেমন সাধারণভাবে ৮০ থ্রেড কাউন্ট মানে হলো প্রতি বর্গ ইঞ্চি কাপড়ে আড়াআড়ি-লম্বালম্বি মোটামুটি ৮০টি সূতো আছে। \" \"কিন্তু সে যুগের ঢাকাই মসলিনে এই থ্রেড কাউন্ট হতো ৮০০ থেকে ১২০০-র মধ্যে\"- বলছেন তিনি। এত বেশি থ্রেড কাউন্ট মানে হলো সেই কাপড় হতো অত্যন্ত নরম এবং টেকসই । যদিও আমরা যে ঢাকাই মসলিনের কথা বলছি তা এক শতাব্দীরও বেশি আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে - কিন্তু অনেক দেশের জাদুঘরে পুরোনো মসলিনের শাড়ি, ওড়না, বা অন্যান্য পোশাক দেখা যায়। ক্রিস্টি বা বনহ্যামসের মতো উচ্চস্তরের নিলামে কখনো কখনো এরকম দু-একটি মসলিন উঠতে দেখা যায় - আর তা বিক্রি হয় হাজার হাজার পাউণ্ড দামে। ঔপনিবেশিক যুগের বিপর্যয় \"মসলিনের বাণিজ্য গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে - একে ধ্বংসও করেছে তারাই\" - বলছিলেন এ্যাশমোর। ইউরোপের অভিজাত মহিলাদের গায়ে মসলিনের পোশাক ওঠার অনেক আগে তা বিক্রি হতো সারা দুনিয়া জুড়ে। প্রাচীন গ্রিকদের মধ্যেও জনপ্রিয় ছিল এই মসলিন। প্রাচীন যুগে মসলিন ব্যবহারের উল্লেখ প্রথম সম্ভবত দেখা যায় রোমান লেখক পেট্রোনিয়াসের লেখায় - সেখানে তিনি মসলিন কাপড় কত স্বচ্ছ তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। \"একজন নববধূর জন্য মসলিনের মেঘের নিচে প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে দাঁড়ানো - আর বাতাস দিয়ে তৈরি পোশাক পরে দাঁড়ানো একই কথা\" - লিখেছিলেন তিনি। আসল ফুটি কার্পাসের সন্ধানে সাইফুল ইসলাম পরবর্তী কালে বহু বিদেশী পর্যটকের লেখায় মসলিনের প্রশংসা দেখা গেছে। এদের অন্যতম চতুর্দশ শতাব্দীর বারবার-মরোক্কান ইবনে বতুতা, এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর চীনা পর্যটক মা হুয়ান। সম্ভবত মোগল শাসনকালই ছিল ভারতবর্ষে মসলিনের স্বর্ণযুগ। এই সাম্রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল ১৫২৬ সালে এখনকার উজবেকিস্তানের একজন সমরনায়কের হাতে। অষ্টাদশ শতক নাগাদ প্রায় পুরো ভারতীয় উপমহাদেশই ছিল মোগল শাসনাধীন। এই সময়টায় পারস্য (আধুনিক যুগের ইরান) ইরাক তুরস্ক আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা বণিকদের সাথে বিপুল পরিমাণ মসলিনের বাণিজ্য হতো। মোগল বাদশাহ এবং তাদের স্ত্রীরা মসলিনের খুব ভক্ত ছিলেন। সেযুগের চিত্রকলায় তাদেরকে মসলিন ছাড়া অন্যকিছু পরিহিত অবস্থায় প্রায় দেখাই যায়না। মসলিনের সেরা কারিগরদের তারা পৃষ্ঠপোষকতা করতেন, তাদের সরাসরি নিয়োগ দিতেন এবং তাদের সেরা কাপড়গুলো অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে দেয়া হতো না। মসলিনের স্বচ্ছতা মোগল যুগেও সমস্যার কারণ হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে যে বাদশাহ আওরঙ্গজেবের কন্যা সাত পাক দিয়ে মসলিন পরার পরও সম্রাট তাকে 'নগ্ন হয়ে প্রকাশ্যে আসার জন্য' তিরস্কার করেছিলেন। সবকিছু ভালই চলছিল - ব্রিটিশরা ভারতে আসার আগ পর্যন্ত। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৯৩ সাল নাগাদ মোগল সাম্রাজ্য দখল করে নেয়। তার এক শতাব্দীরও কম সময়ের মধ্যে ভারত চলে যায় ব্রিটিশ রাজের নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাজ্যে মসলিনের প্রথম প্রদর্শনী হয় ১৮৫১ সালে - 'ওয়ার্ক অব ইন্ডাস্ট্রি অব অল নেশন্স' নামে এক মহা-প্রদর্শনীতে। এর পরিকল্পনা করেছিলেন রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স অ্যালবার্ট। তার চিন্তাটা ছিল, তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নানা চমকপ্রদ জিনিস তার প্রজাদের সামনে তুলে ধরবেন। লন্ডনের ক্রিস্টাল প্যালেসে ৪০ মিটার উঁচু কাচের গ্যালারিতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আনা প্রায় ১ লক্ষ জিনিস তুলে ধরা হলো সেই প্রদর্শনীতে। তখনকার দিনে এক গজ ঢাকাই মসলিনের দাম ছিল ৫০ থেকে ৪০০ পাউণ্ড পর্যন্ত - আজকের মূল্যমানে ৭,০০০ থেকে ৫৬,০০০ পাউণ্ড। সেই যুগের সবচেয়ে ভালো সিল্কের চাইতেও এই মসলিন ছিল ২৬ গুণ বেশি দামী। কিন্তু ভিক্টোরিয়ান লন্ডনের অভিজাতরা যখন মসলিন নিয়ে মুগ্ধ - তখন সেই মসলিনের উৎপাদকরা ঋণের বোঝা আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে আটকা পড়েছে। গুডস ফ্রম দি ইস্ট নামে একটি বইয়ে বলা হয়েছে, অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঢাকাই মসলিন তৈরির প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। ওই অঞ্চলে মসলিনের যারা স্বাভাবিক ক্রেতা ছিল - তাদের পরিবর্তে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লোকেরা নতুন ক্রেতা হয়ে দাঁড়ায়। এ্যাশমোর বলছিলেন, কোম্পানি নানা ভাবে উৎপাদনের প্রক্রিয়া এবং সম্পূর্ণ বাণিজ্যটিই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। তাঁতীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, কম দামে আরো বেশি পরিমাণ মসলিন কাপড় তৈরির জন্য। সাইফু ইসলাম - যিনি একটি ফটো এজেন্সির পরিচালনার সাথেও জড়িত - তিনি বলছেন, \"মসলিন উৎপাদন একটা কঠিন এবং পরিশ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া। এর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের দক্ষতা। এক কিলোগ্রাম ফুটি কার্পাস থেকে মাত্র আট গ্রাম সূক্ষ্ম মসলিন তৈরি হয়। \" বর্ধিত চাহিদার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে তাঁতীরা ঋণের জোলে আটকা পড়লো। একটা কাপড় ত��রি করতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতো । কিন্তু কাপড় যদি মান অনুযায়ী না হতো তাহলে তাদের দাম ফেরত দিতে হতো। তারা কখনোই ঋণ শোধ করতে পারছিল না - বলছিলেন এ্যাশমোর। আরো বড় আঘাত হয়ে এলো প্রতিযোগিতা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব শিল্পের ওপর নির্ভর করতো - তার সমস্ত খুঁটিনাটি তারা নথিভুক্ত করতো। মসলিন তৈরি প্রতিটি ধাপের প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখতো তারা। ইউরোপে যখন বিলাসবহুল কাপড়ের চাহিদা বাড়লো তখন তাগিদ তৈরি হলো যে ঘরের কাছেই এর অপেক্ষাকৃত সস্তা সংস্করণ উৎপাদন করতে হবে। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ল্যাংকাশায়ারের কাপড় ব্যবসায়ী স্যামুয়েল ওল্ডনো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অর্জিত জ্ঞান আর নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে উন্নত তাঁত দিয়ে লন্ডনের ক্রেতাদের জন্য বিপুল পরিমাণে কাপড় বানাতে শুরু করলেন। ১৭৮৪ সাল নাগাদ তার কারখানায় কাজ করতো ১০০০ তাঁতী। ব্রিটিশদের তৈরি মসলিন মানের দিক থেকে ঢাকাই মসলিনের ধারেকাছেও ছিল না। এই মসলিন বানানো হতো সাধারণ তুলা দিয়ে। এর থ্রেড কাউন্টও ছিল অনেক কম। কিন্তু এর ফলে হঠাৎ করেই ঢাকাই মসলিনের চাহিদা কমে গেল, তার সাথে ছিল দশকের পর দশকের অত্যাচার। দুয়ে মিলে ডেকে আনলো ঢাকাই মসলিন শিল্পের মৃত্যু । ঢাকাই মসলিন কীভাবে বানাতে হয় সেই বিদ্যা হারিয়ে গেছে এর পর যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর ভূমিকম্পের মত আরো কিছু কারণে অনেক তাঁতী নিম্ন মানের কাপড় বানানোর দিকে চলে গেল, অনেকে পেশা বদলে কৃষক হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত মসলিন তৈরি পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে গেল। \"এটা মনে রাখতে হবে যে এটা ছিল একটা পারিবারিক পেশা। আমরা তাঁতীদের কথা বলি, তাদের দারুণ কাজের কথা বলি - কিন্তু এসব কাজের পেছনে ছিল নারীরা - তাঁত-চরকার কাজ করতো তারাই\" বলছিলেন হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী যিনি বাংলার মসলিন শিল্পেও ওপর একটি বই লিখেছেন। এর পর প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার হয়ে গেল - আর ঢাকাই মসলিন কীভাবে বানাতে হয় সেই বিদ্যাও হারিয়ে গেল। যেহেতু মসলিন নেই - তাই সেই ফুটি কার্পাসের গাছও ধীরে ধীরে অপরিচিত জংলী গাছে পরিণত হয়ে গেল। দ্বিতীয় জন্ম সাইফুল ইসলামের জন্ম বাংলাদেশে - তবে প্রায় ২০ বছর আগে তিনি লন্ডনে প্রবাসী হন। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন - সেই 'দৃক'কে ঢাকাই মসলিনের ওপর একটি ব্রিটিশ প্রদর্শনীকে বাংলাদেশী দর��শকদের জন্য পরিবেশনের প্রস্তাব দেয়া হয় ২০১৩ সালে। এর মধ্যে দিয়েই তিনি ঢাকাই মসলিন সম্পর্কে সচেতন হন। তারা অনুভব করলেন যে উদ্যোগটিতে খুঁটিনাটি অনেক কিছুর অভাব আছে - তাই তারা নিজেরাই এ নিয়ে এক গবেষণা শুরু করলেন। পরের এক বছরে সাইফুল এবং তার সহকর্মীরা স্থানীয় শিল্পের সাথে জড়িত লোকজনের সাথে কথা বললেন। যে অঞ্চলে এটা তৈরি হতো সেই এলাকাটা ঘুরে দেখলেন এবং ইউরোপের মিউজিয়ামগুলোতে ঢাকাই মসলিনের নমুনাগুলো সন্ধান করলেন। ঢাকায় এখনো জামদানি নামের মসলিন তৈরি হয়। \"লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামে শত শত মসলিন আছে। ইংলিশ হেরিটেজ ট্রাস্টে ২০০০টি মসলিন আছে, কিন্তু বাংলাদেশে একটিও নেই\" - বলছিলেন সাইফুল। শেষ পর্যন্ত ঢাকায় মসলিনের ওপর একাধিক প্রদর্শনী হলো। একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেয়া হলো, সাইফুলের লেখা একটি বই প্রকাশিত হলো। এক পর্যায়ে তারা ভাবতে শুরু করলেন, হয়তো এই ঐতিহাসিক বস্ত্রটি আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও হতে পারে। এ লক্ষ্য নিয়েই তারা বেঙ্গল মসলিন নামে তারা একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করলেন। তাদের প্রথম কাজ ছিল মসলিন উৎপাদনের উপযোগী তুলার গাছ খুঁজে বের করা। তখন ফুটি কার্পাসের বীজ কারো সংগ্রহেই ছিল না। কিন্তু লন্ডনের কিউ গার্ডেনের রয়াল বোটানিক গার্ডেনের সংগ্রহে তারা খুঁজে পেলেন ফুটি কার্পাসের শুকনো সংরক্ষিত অনেকগুলো পাতা - যা সংগৃহীত হয়েছিল উনবিংশ শতাব্দীতে। এটা থেকে তারা ফুটি কার্পাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স তৈরি করতে সক্ষম হলেন। তাদের হাতে এসে গেল এর জেনেটিক রহস্য। এ নিয়ে তারা বাংলাদেশে পিরে এলেন। এর পর শুরু হলো ফুটি কার্পাস গাছ খুঁজে বের করার কাজ। তারা মেঘনা নদীর পুরোনো মানচিত্র পরীক্ষা করলেন, তাকে আধুনিক উপগ্রহ চিত্রের সাথে মিলিয়ে সম্ভাব্য জায়গাগুলো চিহ্নিত করলেন - যেখানে এখনো সেই গাছ পাওয়া যেতে পারে। তার পর তারা নৌকা ভাড়া করে সে সব জায়গায় গিয়ে জংলী গাছের মধ্যে ফুটি কার্পাস খুঁজে বেড়াতে লাগলেন। যেখানে যে তুলোর গাছ পাওয়া গেল তার জেনেটিক সিকোয়েন্স তৈরি করা হলো - আসলটির সাথে তা মিলিয়ে দেখা হলো। এক পর্যায়ে তারা এমন একটি কার্পাস গাছ খুঁজে পেলেন - যা ফুটি কার্পাসের সাথে ৭০ শতাংশ মিলে যায় । এই কার্পাস উৎপাদনের জন্য তারা ঢাকার ৩০ কিলোমিটার উত্তরে মেঘনার একটি দ্বীপ নির্বাচন করলেন। সাইফ��ল বলছিলেন, \"জায়গাটি ছিল আদর্শ খুবই উর্বর এবং নদীর পলি দিয়ে তৈরি জমি।\" এখানে ২০১৫ সালে তারা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু বীজ বপন করলেন। কিছুকালের মধ্যেই সেখান থেকে গজালো ফুটি কার্পাসের সারি সারি গাছ - কয়েক শতাব্দীর মধ্যে এই প্রথম আবাদ। সেই বছরই দলটি ফসল হিসেবে তাদের প্রথম তুলা পেলেন। যদিও তারা শতভাগ খাঁটি ঢাকা মসলিন বানানোর জন্য যথেষ্ট ফসল পাননি, কিন্তু তারা ভারতীয় তাঁতীদের সাথে যৌথ উদ্যোগে সাধারণ ও ফুটি কার্পাস তুলা মিলিয়ে একটি হাইব্রিড সূতা তৈরি করলেন। তবে এই সূতা দিয়ে মসলিন বুনতে গিয়ে তারা দেখলেন কাজটা অনেক জটিল। বাংলাদেশে এখন যে মসলিন তৈরি হয় তার নাম জামদানী মসলিন - এটার থ্রেড কাউন্ট পুরোনো ঢাকাই মসলিনের চেয়ে অনেক কম। তবে এটা তৈরি করতে জানেন এমন অনেক তাঁতী বাংলাদেশে আছেন। ঢাকাই জামদনি এখনো মহিলাদের প্রিয় সাইফুল ভেবেছিলেন, তিনি এই কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন এবং তাদের শেখাবেন কিভাবে পুরোনো ঢাকাই মসলিনের কাছাকাছি মানের কাপড় তৈরি করা যায়। সাইফুল তাঁতীদের বললেন, তিনি ৩০০ থ্রেড কাউন্টের শাড়ি উৎপাদন করতে চান। \"কিন্তু তাদের কেউই এ কাজ করতে চাইলো না। সত্যি কথা বলতে কি- তারা বললো এটা পাগলামি\" - বললেন সাইফুল। অন্তত ২৫ জন তাঁতীর সাথে কথা বললেন সাইফুল। শেষ পর্যন্ত একজন রাজি হলেন। তার নাম আল-আমিন। তিনি এখন তাদের প্রকল্পের প্রধান তাঁতী। আল আমিন তার ওয়ার্কশপে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং আর্দ্রতা রক্ষার যন্ত্রপাতি বসালেন - যাতে সেই সূক্ষ্ম সূতা তৈরি করা যায়। অন্তত ৫০টি মত যন্ত্র দরকার ছিল তাদের - যা এখন আর পাওয়া যায় না। সুতরাং প্রকল্পের কারিগররা নিজেরাই সেগুলো বানিয়ে নিলেন। ছয় মাসের কঠোর পরিশ্রম শেষে আমিন ৩০০ থ্রেড কাউন্টের একটি শাড়ি বানাতে সক্ষম হলেন। সেটা আসল ঢাকাই মসলিনের মানের কাছাকাছি নয়। কিন্তু গত অনেক প্রজন্মের তাঁতীরা যা বানিয়েছেন - তার চেয়ে অনেক উন্নত মানের। এর পর কয়েক বছর পার হয়েছে। সাইফুল ও তার দল ২০২১ সাল নাগাদ অনেকগুলো শাড়ি বানিয়েছেন - তাদের হাইব্রিড মসলিন থেকে। ইতোমধ্যেই তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে এবং তার কোন কোনটি হাজার হাজার পাউণ্ড দামে বিক্রিও হয়েছে। সাইফুল এখন বলছেন, এই সমাদর থেকে তার ধারণা হয়েছে যে মসলিনের একটা ভবিষ্যৎ আছে। \"এটা হচ্ছে ম্যাস প্রোডাকশন বা একসাথে বিপ��ল পরিমাণ পণ্য উৎপাদনের যুগ, কিন্তু সে কারণেই যা বিশিষ্ট, অনন্য - এমন জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। মসলিন এখনো একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড\" - বলেন তিনি। সাইফুল আশা করেন, একদিন তারা এমন একটি বিশুদ্ধ ঢাকাই মসলিন শাড়ি বানাতে সক্ষম হবেন - যার থ্রেড কাউন্ট হবে ৩০০-র চেয়ে অনেক বেশি। সাইফুল তার দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে চান। তিনি বলছেন, \"এটা জাতীয় মর্যাদার ব্যাপার। যেহেতু আমাদের দেশে অনেক গার্মেন্টস কারখানা আছে, তাই আমাদের পরিচয় এখন আর দরিদ্র নয়, কিন্তু এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে এ দেশ পৃথিবীর সর্বকালের সূক্ষ্মতম কাপড়েরও দেশ।\" কে জানে, হয়তো একটি নতুন প্রজন্মকে শীগগিরই পরতে দেখা যাবে একটি প্রাচীন বস্ত্র - এবং তার অতি স্বচ্ছতার জন্য হয়তো একটু বিব্রতও হতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সিলেট জেলার সব থানায় বসছে মেশিনগান পাহারা করোনাভাইরাস: দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়াবহ ধরন নিয়ন্ত্রণ হবে কিভাবে দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়ার পর লন্ডনের রাস্তায় রাত কাটালেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নতুন উপসর্গ নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট", "doc2": "À la fin du XVIIIe siècle, en Europe, une nouvelle mode s'est retrouvée au cœur d'un scandale international. En effet, toute une classe sociale a été accusée de se montrer nue en public. Le coupable était la mousseline de Dhaka, un tissu précieux importé de la ville du même nom dans l'actuel Bangladesh jadis Bengale. Il n'avait rien à voir avec la mousseline d'aujourd'hui. Fabriquée en 16 étapes à partir d'un coton rare qui ne poussait que sur les bords de la rivière sacrée Meghna, cette étoffe était considérée comme l'un des grands trésors de l'époque. Il bénéficiait d'une réputation internationale, remontant à des milliers d'années - cette précieuse étoffe avait été jugée digne de vêtir les statues des déesses de la Grèce antique, d'innombrables empereurs de pays lointains et des générations de la royauté moghole locale. Il en existait de nombreux types, mais les plus fins étaient honorés par des noms évocateurs évoqués par les poètes impériaux, tels que \"baft-hawa\", littéralement \"air tissé\". Selon certains ces mousselines haut de gamme étaient aussi légères et douces que le vent. D'après un voyageur, elles étaient si fluides qu'on pouvait tirer un boulon - d'une longueur de 300 pieds, ou 91 m - au centre d'un anneau. Un autre a écrit que l'on pouvait faire tenir un morceau de 18 m dans une tabatière de poche. La mousseline de Dhaka était également plus transparente. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Alors que traditionnellement, ces tissus de qualité supérieure étaient utilisés pour fabriquer des saris et des jamas - des vêtements en forme de tunique portés par les hommes - au Royaume-Uni, ils ont transformé le style de l'aristocratie, faisant disparaître les robes très structurées de l'ère géorgienne. Les corsets horizontaux d'un mètre cinquante, qui passaient à peine dans l'embrasure des portes, ont fait place à de délicates robes-chemises droites et longues. Non seulement ces robes étaient cousues dans une qualité supérieure de gaze, mais elles étaient taillées dans le style de ce qui était auparavant considéré comme des sous-vêtements. Dans une gravure satirique populaire d'Isaac Cruikshank, un groupe de femmes apparaît ensemble dans de longues robes de mousseline aux couleurs vives, à travers lesquelles on peut clairement voir leurs fesses, leurs mamelons et leurs poils pubiens. En dessous, on peut lire la description suivante : \"Dames parisiennes dans leur robe d'hiver pour 1800\". Pendant ce temps, dans un extrait comique tout aussi misogyne tiré d'un magazine mensuel anglais destiné aux femmes, un tailleur aide une cliente à réaliser le dernier modèle à la mode. \"Madame, c'est fait en un instant\", lui assure-t-il, puis il lui demande d'enlever son jupon, puis ses poches, puis son corset et enfin ses manches... \"C'est une affaire facile, vous voyez\", explique-t-il. \"Pour être habillée à la mode, il suffit de se déshabiller\". Pourtant, la mousseline de Dhaka faisait un tabac auprès de ceux qui pouvaient se l'offrir. C'était le tissu le plus cher de l'époque, prisé par de nombreuses personnes y compris la reine française Marie-Antoinette, l'impératrice française Joséphine Bonaparte et l'écrivaine Jane Austen. Mais cette étoffe merveilleuse a disparu aussi vite qu'elle a conquis l'Europe des Lumières. Les graveurs satiriques du 19e siècle se plaisaient à souligner les dangers des robes en mousseline, comme le risque d'apparaître nu en cas de fort ensoleillement, de vent ou de pluie. Au début du XXe siècle, la mousseline de Dhaka avait disparu de tous les coins du monde, les seuls exemplaires étaient placés en sécurité dans de précieuses collections privées et des musées. La technique alambiquée pour la fabriquer a été oubliée, et le seul type de coton qui pouvait être utilisé, le Gossypium arboreum var. neglecta - connu localement sous le nom de Phuti karpas - a brusquement disparu. Comment cela s'est-il produit ? Et peut-on inverser la tendance ? Une fibre capricieuse La mousseline de Dhaka a commencé avec des plantes cultivées le long des bords de la rivière Meghna, l'une des trois qui forment l'immense delta du Gange - le plus grand du monde. Chaque printemps, leurs feuilles d'érable poussaient à travers le sol gris et limoneux et commençaient leur maturation vers l'âge adulte. Une fois adultes, elles produisaient deux fois par an une seule fleur jaune jonquille, qui laissait place à une fleur neigeuse de fibres de coton. Ces fibres n'étaient pas ordinaires. Contrairement aux brins longs et fins produits par son cousin d'Amérique centrale, le Gossypium hirsutum, qui représente aujourd'hui 90 % du coton mondial, les karpas de Phuti produisaient des fils trapus et facilement effilochés. Cela peut sembler un défaut, mais tout dépend de ce que vous comptez en faire. En effet, les fibres courtes de l'arbuste disparu étaient inutiles pour fabriquer des tissus de coton bon marché à l'aide de machines industrielles. Elles étaient difficiles à travailler et se cassaient facilement si on essayait de les tordre pour en faire du fil. Au lieu de cela, les habitants de la région ont apprivoisé les fils rebelles grâce à une série de techniques ingénieuses développées au fil des millénaires. A regarder : Mode : s'habiller \"Made In Africa\" c'est tendance Le processus complet comprenait 16 étapes, chacune d'entre elles étant si spéciale qu'elle était réalisée par un village différent autour de Dhaka, qui faisait alors partie du Bengale - certaines zones se situent dans ce qui est aujourd'hui le Bangladesh, d'autres dans ce qui est aujourd'hui l'État indien du Bengale occidental. Il s'agissait d'un véritable effort communautaire, impliquant jeunes et vieux, hommes et femmes. Tout d'abord, les boules de coton étaient nettoyées avec les minuscules dents en forme d'épine de la mâchoire du poisson-chat boal, un poisson carnivore originaire des lacs et des rivières de la région. Venait ensuite le filage. Les fibres de coton courtes nécessitaient des niveaux élevés d'humidité pour être étirées, cette étape était donc réalisée sur des bateaux, par des groupes de jeunes femmes qualifiées, tôt le matin et en fin d'après-midi - les moments les plus humides de la journée. Les personnes plus âgées ne pouvaient généralement pas filer le fil, car elles ne pouvaient tout simplement pas voir les fils. La mousseline de Dhaka était l'une des préférées de Joséphine Bonaparte, la première épouse de Napoléon, qui possédait plusieurs robes inspirées de l'époque classique. \"On obtenait de toutes petites jointures entre les fibres de coton, là où elles étaient reliées entre elles\", explique Sonia Ashmore, historienne du design, auteur d'un livre sur cette mousseline publié en 2012. \"Cela conférait à la surface une sorte de rugosité, qui donne un toucher très agréable\". Enfin, il y avait le tissage. Cette partie pouvait prendre des mois, car les motifs classiques du jamdani - principalement des formes géométriques représentant des fleurs - étaient intégrés directement dans le tissu, selon la même technique que celle utilisée pour créer les célèbres tapisseries royales de l'Europe médiévale. Le résultat était une œuvre d'art minutieusement détaillée, sublimée par des milliers de fils argentés et soyeux. Une merveille asiatique Les clients occidentaux de la région avaient du mal à croire que la mousseline de Dhaka ait pu être fabriquée par des mains humaines - des rumeurs prétendaient qu'elle était tissée par des sirènes, des fées et même des fantômes. Certains disaient qu'elle était tissée sous l'eau. \"Sa légèreté, sa douceur - elle ne ressemblait à rien de ce que nous avons aujourd'hui\", explique Ruby Ghaznavi, vice-président du Conseil national de l'artisanat du Bangladesh. A regarder : Les tissus d’écorces d’arbres redeviennent à la mode. Le même processus de tissage se poursuit dans la région jusqu'à aujourd'hui, en utilisant une mousseline de moindre qualité à partir de fils de coton ordinaires au lieu des karpas Phuti. En 2013, l'art traditionnel du tissage jamdani a été protégé par l'Unesco en tant que forme de patrimoine culturel immatériel. Mais le véritable exploit, c'est le nombre de fils qui pouvait être tissés. Un nombre de fils plus élevé est considéré comme souhaitable car il rend les matériaux plus souples et qui s'usent mieux avec le temps - plus il y a de fils au départ, plus il en restera pour maintenir le tissu ensemble lorsque certains commencent à s'effilocher. Saiful Islam, qui dirige une agence de photographie et mène un projet visant à ressusciter ce tissu, explique que la plupart des versions fabriquées aujourd'hui ont un nombre de fils compris entre 40 et 80, ce qui signifie qu'elles contiennent à peu près ce nombre de fils horizontaux et verticaux entrecroisés par pouce carré de tissu. La mousseline de Dhaka, quant à elle, comptait entre 800 et 1200 fils, soit un ordre de grandeur supérieur à celui de tout autre tissu en coton existant aujourd'hui. Bien que la mousseline de Dhaka ait disparu il y a plus d'un siècle, on trouve encore aujourd'hui des saris, des tuniques, des foulards et des robes intacts dans les musées. Parfois, l'un d'entre eux refait surface dans une maison de vente aux enchères haut de gamme comme Christie's ou Bonhams, et se vend pour des milliers de livres. Désordre colonial \"Le commerce a été développé et détruit par la Compagnie britannique des Indes orientales\", explique Ashmore. Bien avant que la mousseline de Dhaka ne soit drapée sur les femmes aristocratiques en Europe, elle était vendue dans le monde entier. Elle était populaire auprès des Grecs et des Romains de l'Antiquité, et la mousseline des \"Indes\" est mentionnée dans le livre The Periplus of the Erythraean Sea, écrit par un marchand égyptien anonyme il y a environ 2 000 ans. La mousseline de Dacca peut compter jusqu'à 1 200 fils, mais le nombre le plus élevé atteint ces dernières années est de 300 L'auteur romain Petronius a peut-être été la première personne à se plaindre de sa transparence, en écrivant : \"Ta fiancée pourrait aussi bien se vêtir d'un vêtement de vent que se montrer publiquement nue sous ses nuages de mousseline\". Au cours des siècles suivants, le tissu est loué dans les œuvres du célèbre explorateur berbéro-marocain Ibn Battuta (XIVe siècle) et du prolifique voyageur chinois Ma Huan (XVe siècle), ainsi que dans bien d'autres. Mais l'ère moghole a sans doute marqué l'apogée du tissu. Cet empire d'Asie du Sud a été fondé en 1526 par un chef guerrier originaire de l'actuel Ouzbékistan et, au XVIIIe siècle, il régnait sur l'ensemble du sous-continent indien. Au cours de cette période, la mousseline faisait l'objet d'un commerce intensif avec les marchands de Perse (l'Iran actuel), d'Irak, de Turquie et du Moyen-Orient. Ce tissu était très apprécié des empereurs moghols et de leurs épouses, que l'on voyait rarement porter autre chose. Ils allaient jusqu'à placer les meilleurs tisserands sous leur patronage, les employant directement et leur interdisant de vendre les tissus les plus fins à d'autres. Selon la légende populaire, la transparence de ce tissu a entraîné de nouveaux problèmes lorsque l'empereur Aurangzeb a réprimandé sa fille pour être apparue nue en public, alors qu'elle était en fait enveloppée de sept couches de tissu. Tout allait pour le mieux, puis les Britanniques sont arrivés. En 1793, la Compagnie britannique des Indes orientales avait conquis l'empire moghol, et moins d'un siècle plus tard, la région était sous le contrôle du Raj britannique. La mousseline de Dhaka a été présentée pour la première fois au Royaume-Uni lors de la grande exposition des travaux industriels de toutes les nations en 1851. Cet événement spectaculaire, imaginé par le prince Albert, époux de la reine Victoria, avait pour but de présenter les merveilles de l'Empire britannique à ses sujets. Quelque 100 000 objets provenant des quatre coins du monde ont été rassemblés dans un hall de verre étincelant, le Crystal Palace, qui mesurait 564 mètres de long et 39 mètres de haut. À l'époque, un mètre de mousseline de Dhaka se vendait entre 50 et 400 £, selon Islam, ce qui équivaut à environ 7 000-56 000 £ (5,3 et 42,9 millions de Fcfa) aujourd'hui. Même la meilleure soie était jusqu'à 26 fois moins chère. Le filage du coton phuti karpas est notoirement délicat - si vous vous trompez, le fil se casse. Mais tandis que les Londoniens de l'époque victorienne se pâmaient devant ce tissu, ceux qui le produisaient étaient acculés à l'endettement et à la ruine financière. Comme l'explique le livre Goods from the East, 1600-1800, la Compagnie des Indes orientales a commencé à s'immiscer dans le processus délicat de fabrication de la mousseline de Dhaka à la fin du XVIIIe siècle. La société a d'abord remplacé les clients habituels de la région par ceux de l'Empire britannique. \"Ils ont vraiment mis la main sur sa production et ont fini par contrôler l'ensemble du commerce\", explique M. Ashmore. Ensuite, ils ont exercé une forte pression sur l'industrie, obligeant les tisserands à produire des volumes plus importants de tissu à des prix plus bas. \"Il fallait des compétences très particulières pour transformer les karpas Phuti en tissu\", explique Islam. \"C'est un processus très ardu et coûteux - et au bout du compte, après tout cela, vous n'obteniez qu'environ huit grammes de mousseline fine pour un kilogramme de coton.\" A regarder : Expo photo : Voyage au coeur de la culture serere Comme les tisserands avaient du mal à répondre à ces demandes, ils se sont endettés, explique Ashmore. Ils étaient payés d'avance pour le tissu, dont la fabrication pouvait prendre jusqu'à un an. Mais si le tissu n'était pas jugé conforme aux normes requises, ils devaient tout rembourser. \"Ils n'ont jamais vraiment pu faire face à ces remboursements\", explique-t-elle. Le coup de grâce est venu de la concurrence. Les entreprises coloniales telles que la Compagnie des Indes orientales s'étaient engagées depuis des années à documenter les industries dont elles dépendaient, et la mousseline ne faisait pas exception. Chaque étape du processus de fabrication du tissu était enregistrée dans les moindres détails. La soif croissante des Européens pour les tissus de luxe les a incités à fabriquer des versions moins chères plus près de chez eux. Dans le comté de Lancashire, au nord-ouest de l'Angleterre, le baron du textile Samuel Oldknow a combiné les connaissances des initiés de l'Empire britannique avec une technologie de pointe, le rouet, pour fournir les Londoniens en grandes quantités. En 1784, 1 000 tisserands travaillaient pour lui. L'équipe de la mousseline du Bengale a fait appel à l'aide des villageois locaux pour retrouver la plante perdue. Bien que la mousseline fabriquée par les Britanniques ne se rapprochait pas de l'original de Dhaka - elle était faite de coton ordinaire et tissée à un nombre de fils nettement inférieur - la combinaison de décennies de mauvais traitements et d'une baisse soudaine des besoins en textiles importés l'a fait disparaître pour de bon. La guerre, la pauvreté et les tremblements de terre ayant frappé la région, certains tisserands se sont reconvertis dans la fabrication de tissus de moindre qualité, tandis que d'autres se sont reconvertis dans l'agriculture. Finalement, toute l'industrie s'est effondrée. A regarder : La styliste Zaineb El kadiri pimente les vêtements traditionnels marocains avec du pagne. \"Je pense qu'il est important de se rappeler qu'il s'agissait vraiment d'une activité familiale - nous parlons souvent des tisserands et de la façon dont ils étaient fantastiques, mais derrière leur travail se trouvaient les femmes, qui s'occupaient du filage\", explique Hameeda Hossain, une militante des droits de l'homme qui a écrit un livre sur l'industrie de la mousseline au Bengale. \"L'industrie impliquait donc beaucoup de monde\". Au fil des générations, le savoir de la fabrication de la mousseline de Dhaka a été oublié. Et sans personne pour filer ses fils soyeux, la plante phuti karpas, qui avait toujours été difficile à apprivoiser - personne n'avait réussi à la cultiver loin de la rivière Meghna - est retournée dans l'obscurité sauvage. La légende du métier à tisser n'existait plus. Une deuxième chance Islam est né au Bangladesh et a déménagé à Londres il y a une vingtaine d'années. Il a découvert la mousseline de Dhaka en 2013, lorsque la société pour laquelle il travaille - Drik - a été contactée pour adapter une exposition britannique sur ce matériau à un public bangladais. Estimant qu'elle manquait de détails, ils ont mené leurs propres recherches. Au cours de l'année suivante, Islam et ses collègues ont rencontré des membres de l'industrie artisanale locale, exploré la région où elle avait été produite et recherché des exemples de coupons de mousseline de Dhaka dans des musées européens. \"Le V&A possède une superbe collection avec des centaines de pièces\", dit-il. \"Et si vous allez au English Heritage Trust, ils ont 2 000 pièces. Et pourtant, le Bangladesh n'en avait aucune.\" L'équipe a finalement organisé plusieurs expositions sur le sujet, commandé un film et publié un livre, dont l'auteur est Islam. À un moment donné, ils ont commencé à penser que peut-être, juste peut-être, il serait possible de faire revenir le tissu légendaire. Ensemble, ils ont fondé Bengal Muslin, une entreprise collaborative dont l'objectif est de faire cela. Les plants de coton phuti karpas ressuscités sont identiques à ceux utilisés pour la culture de la mousseline de Dacca il y a des centaines d'années. La première tâche a été de trouver une plante appropriée. Bien qu'il n'y ait aucune graine de phuti karpas dans les collections actuelles, ils ont trouvé un herbier avec des feuilles séchées et conservées aux Jardins botaniques royaux de Kew, datant du 19e siècle. À partir de ce document, il a été possible de séquencer son ADN. Armée des secrets génétiques de leur cible, l'équipe est retournée au Bangladesh. Elle a examiné des cartes historiques de la rivière Meghna et les a comparées à des images satellites modernes pour voir comment son cours avait changé au cours des 200 dernières années, et trouver les meilleurs endroits pour replanter. Ils ont ensuite loué un bateau et parcouru son immense largeur (12 km par endroits) à la recherche de plantes sauvages ressemblant à des dessins anciens. Toutes les options prometteuses ont été séquencées et comparées à l'original. Ils ont fini par trouver une correspondance à 70% - un arbuste ébouriffé qui pourrait avoir eu des ancêtres phuti karpas. Lire aussi : Pour le cultiver, ils se sont d'abord installés sur un terrain situé sur une petite île au milieu de la Meghna, à Kapasia, à 30 km au nord de Dhaka. \"C'était un endroit idéal. La terre est fertile car elle a été formée par l'accumulation de sédiments fluviaux\", explique Islam. C'est là qu'en 2015, ils ont planté quelques graines tests. Bientôt, il y avait des rangées ordonnées de pluti karpas parmi la terre sèche - les premières à être cultivées depuis plus d'un siècle. L'équipe a récolté son premier lot de coton la même année. Bien qu'ils ne disposaient pas encore d'une quantité suffisante de plantes ressuscitées pour fabriquer une mousseline de Dhaka 100% authentique, ils ont collaboré avec des filateurs indiens pour combiner le coton ordinaire et celui des phuti karpas en un fil hybride. L'heure du tissage a ensuite sonné, ce qui s'est avéré plus délicat que prévu. Comme il existe encore des tisserands au Bangladesh qui fabriquent de la mousseline jamdani, bien qu'il s'agisse de versions plus grossières avec un nombre de fils plus faible, Islam espérait au départ simplement améliorer leurs compétences et leur apprendre à fabriquer un produit de meilleure qualité, plus proche de l'ancien tissu. De nombreux savoir-faire nécessaires à la fabrication de la mousseline de Dhaka se sont perdus, ce qui rend difficile l'adaptation de la qualité du tissu. \"Mais aucun d'entre eux ne voulait travailler sur ce projet, en fait\", dit Islam. Quand il leur a dit qu'il voulait faire des saris à 300 fils, \"ils ont tous dit que c'était de la folie\". Ils lui ont dit : \"Merci beaucoup de nous avoir raconté cette histoire et ce patrimoine, mais non merci\", dit-il. Sur les 25 personnes qu'il a approchées, une seule a finalement accepté. La plupart des tisserands de la région sont pauvres et travaillent dans de simples huttes. Al Amin, devenu leur maître tisserand, a donc accepté de faire installer des régulateurs de température et des humidificateurs dans son atelier, afin de créer les conditions spécifiques nécessaires à la fabrication de ce tissu délicat. Entre-temps, certains des quelque 50 outils nécessaires n'étaient plus disponibles, et l'équipe a donc fabriqué les siens. C'est le cas du shana, un morceau de bambou taillé de manière à comporter des milliers de dents artificielles qui permettent de maintenir le fil en place pendant le travail. Six mois exténuants, beaucoup d'improvisations et de nombreux fils cassés plus tard, Amin avait fabriqué un sari de 300 fils, loin de la norme originale de la mousseline de Dhaka, mais bien plus élevé que ce qu'aucun tisseur n'avait réalisé depuis des générations. \"Il a fait preuve d'une patience inébranlable pour travailler avec nous\", déclare Islam. \"Nous avons contribué à 40% de l'effort, mais le reste est venu de lui\". Quelques années plus tard, en 2021, l'équipe a fabriqué plusieurs saris à partir de leur mousseline hybride, qui ont déjà été exposés dans le monde entier. Certains ont été vendus pour des milliers de livres - et Islam pense que l'accueil qu'ils ont reçu prouve que le tissu a un avenir. \"À notre époque de production de masse, il est toujours intéressant d'avoir quelque chose de spécial. Et la marque est toujours aussi puissante\", dit-il. Aujourd'hui, l'équipe fait pousser des plantes en continu, bien qu'elle ait été contrainte d'abandonner l'ancienne parcelle agricole en raison de problèmes d'inondation. Ils cultivent maintenant les phuti karpas ressuscités sur la rive d'une rivière voisine, qui présente l'avantage supplémentaire d'être accessible sans bateau. Islam espère qu'un jour, ils seront en mesure de fabriquer un sari en pure mousseline de Dhaka avec un nombre de fils encore plus élevé. Le gouvernement bangladais, qui a soutenu le projet, en espère autant. \"C'est une question de prestige national\", explique M. Islam, qui souhaite également améliorer l'image du pays. \"Il est important que notre identité ne soit pas celle d'un pays pauvre, avec de nombreuses industries de l'habillement, mais aussi celle de la source du plus beau textile qui ait jamais existé\", ajoute-t-il. Qui sait, peut-être qu'une nouvelle génération portera bientôt ce tissu ancien - et sera aux prises avec sa transparence quelque peu osée."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46628647", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/40210656", "doc1": "'স্টুপিড মহিলা' বলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তবে মি. করবিন বলছেন, তিনি এরকম কোন শব্দ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, ''স্টুপিড পিপল।'' যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বা নারীদের প্রতি বিদ্রূপমূলক ভাষা ব্যবহারের তিনি সবসময়েই বিরোধী বলে জানাছেন মি: করবিন। এই অভিযোগ ওঠার পর হাউজ অফ কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলছেন, ঘটনাটি তিনি দেখতে পাননি এবং সব এমপিকে বক্তব্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত। তবে কনজারভেটিভ এমপিরা বলছেন, তারা মি. করবিনের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন। কমন্সে দেয়া বক্তব্যে মি. করবিন বলেছেন, ''আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে, তাদেরকেই আমি 'স্টুপিড পিপল' বলেছি।'' ''মি. স্পিকার, আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে 'স্টুপিড উইমেনের' মতো শব্দ ব্যবহার করিনি'' বলছেন মি: করবিন। তবে তার এই বক্তব্যের জবাবে কনজারভেটিভ এমপি র‍্যাচেল ম্যাকলিন বলছেন, ''ঠোঁটের ভাষা পড়ে দেখুন, আমি তাকে (মি:করবিনকে) বিশ্বাস করি না।'' অভিযোগটি ওঠার পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন, মি: করবিনের বিরুদ্ধে যে আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি এবং সেটা দেখে সহজেই বুঝতে পারা যায় যে, কেন বিরোধী নেতার শব্দকে 'স্টুপিড ওম্যান' হিসাবেও বর্ণনা করা যায়।'' আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন স্পিকার। তাকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, তবে এখনো কোন উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ''কারো পক্ষেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না, এমনকি পেশাদার ঠোঁটের ভাষা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও নয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আমি একজন সম্মানিত সদস্যের বক্তব্যকেই গ্রহণ করবো, যা আসলে করা উচিত।'' ''এটাই হবে যৌক্তিক পদক্ষেপ যদিও হাউজও এমনটা করে'' বলছেন মি: বারকো। তিনি বলেছেন, মি: করবিন পুরো সময়ে বসেই ছিলেন এবং হাউজকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি, তাই তার বক্তব্য 'অন রেকর্ড' হিসাবে গ্রহণীয় হবে না। এর আগের একটি ঘটনায় স্পিকার জন বারকোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি টোরি এমপি ভিকি ফোর্ডকে 'স্টুপিড ওম্যান' বলেছেন। ফলে সংসদ সদস্যরা স্পিকারের নিজের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মি: বারকোকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কমন্স এমপি অ্যান্ড্রিয়া লেডসোম বলেছেন যে, এ বছরের শুরুর দিকের ওই ঘটনার জন্য তিনি এখনো ক্ষমা চাননি। জবাবে স্পিকার বলেছেন, এর মধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। মিজ লেডসোম বলছেন, মি: করবিনের বিবৃতির পর দর্শক এবং এমপিদের পক্ষে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে। টেরেসা মে মিস্টার করবিনকে বলছেন, \"আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়। '' কিভাবে এই ঘটনার শুরু হয়েছিল? টেরেসা মের বেক্সিট চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহ থেকে, যখন ভোটাভুটি পিছিয়ে দেয়াকে স্বার্থপর কৌশল বলে মন্তব্য করে মিসেস মে'কে 'ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী' বলে অভিহিত করেছিলেন জেরেমি করবিন। এর পাল্টা আঘাত করতে গিয়ে মিসেস মে বলেন, তিনি (জেরেমি করবিন) তার প্রতিশ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি এবং এরপরে যা করেছেন তাও অকার্যকর। ''আজি জানি এটা হচ্ছে কৌতুক-নাট্যের সময়....''এমপিদের তিনি বলেন, ''তিনি কি অনাস্থা ভোট আনবেন? ওহ, তিনি আনবেন'' আবার পেছনের টোরি এমপিদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ''ওহ না, তিনি আনবেন না।'' তখন তিনি লেবার নেতার দিকে তাকিয়ে বলেন, ''আপনার পেছনে তাকিয়ে দেখুন, তারা আপনার কাজে মুগ্ধ নন এবং দেশের লোকজনও নয়। '' এ সময় জেরেমি করবিনকে নিশ্বাস ফেলার সঙ্গে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এই অভিযোগের বিষয়ে টোরি এমপি পল স্কুলি মিসেস মের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''আমি মনে করি, হাউজের প্রত্যেক সদস্যের, বিশেষ করে যখন নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে, তখন সবার নারীদের রাজনীতিতে আসাকে উৎসাহিত করা উচিত এবং যথাযথ ভাষা ব্যবহার করা উচিত।'' প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পরেও এই বিতণ্ডা চলতে থাকে এবং বেশ কয়েকজন নারী কনজারভেটিভ এমপি তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। স্পিকারের বিরুদ্ধেও দ্বৈতনীতি অবলম্বনের অভিযোগ তুলেছেন কোন কোন এমপি সাবেক মন্ত্রী অ্যানা সুবরি স্পিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, যদি লে���ার পার্টির কোন নারী এমপির বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির কোনো এমপি এরকম মন্তব্য করতেন, তাহলে মি: বারকো আরো দ্রুত ব্যবস্থা নিতেন। প্রবীণ লেবার এমপি মার্গারেট বেকেট বলছেন, এই অভিযোগটি হচ্ছে দলীয় রাজনীতি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক এমপি ভিরা হবহাউজ বলছেন, ''দেশের সব জায়গা থেকেই আজকের এই ঘটনাটি তরুণী মেয়েরা দেখেছে এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, যদি এরপরে তাদের অনেকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে জেরেমি করবিনের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।'' আরও পড়তে পারেন: অন্যেরা ব্যর্থ হলেই শুধু সেনাবাহিনী 'এ্যাকশনে যাবে' 'আতঙ্কের মধ্যে আছি' - সহিংসতায় উদ্বিগ্ন ভোটাররা ভোটের লড়াইয়ে হাতিয়ার বাংলাদেশের শিশুরা", "doc2": "Jeremy Corbyn a voté dans sa circonscription à Islington \"Elle a perdu des sièges conservateurs, perdu des voix, perdu le soutien et la confiance. C'est assez pour qu'elle parte et laisse la place à un gouvernement vraiment représentatif\", a déclaré M. Corbyn en s'adressant à ses électeurs tôt vendredi matin. Toutefois, selon les tendances, aucun parti n'a encore la majorité absolue. Les Conservateurs perdraient 17 sièges au moment où les travaillistes pourraient en gagner 34. Auparavant, le secrétaire aux affaires étrangères du parti de l'opposition, Emily Thornberry avait déclaré que le parti travailliste pourrait appeler les autres partis à soutenir un programme pour le gouvernement dans la mesure oùTheresa May n'a pas sécurisé son mandat. Un sondage publié par BBC, ITV et Sky a prévu 266 sièges pour les travaillistes, ce qui représente 34 sièges par rapport au Parlement de 2015-2017. Les conservateurs devraient gagner 314 sièges, ce qui diminuerait leur majorité."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45131029", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-45127575", "doc1": "শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় একমাস ধরে ১২ লাখ মানুষের দৈনিক শারীরিক কার্যক্রমের তালিকা করেন এবং তাদের মানসিক অবস্থা বর্ণনা করেন। গবেষণায় পাওয়া যায়, ব্যায়ামের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ব্যায়াম না করা ব্যক্তিদের চেয়ে প্রতিমাসে ১.৫টি কম 'বাজে দিন'এর অভিজ্ঞতা করে থাকেন। সবচেয়ে বেশী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হয় যারা দলগত খেলা, সাইক্লিং এবং ফুসফুস ও হার্টের ব্যায়াম করে থাকেন। সব বয়স ও লিঙ্গের মানুষই শরীরচর্চার ফলে মানসিকভাবে ভাল বোধ করেন। ঘরের কাজ কর ও শিশুদের দেখাশোনা করাও এই তালিকার মধ্যে পরে। ল্যান্সেট সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবষেণা এখন পর্যন্ত এই ধরণের যে কোনো গবষেণার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের। তবে শারীরিক কার্যক্রম ব্যায়ামের কারণেই যে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর শরীরচর্চার প্রভাব বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণায় মিশ্র ফল পাওয়া গ���য়েছে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, কম পরিমাণে শরীরচর্চা করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং মানসিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণেও শরীরচর্চার আগ্রহ কমে যায়। শরীরচর্চা করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়বেটিসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে আগেই। এই গবেষণায় অংশ নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা জানান, প্রতিমাসে গড়ে ৩.৪ দিন তারা মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন। আর যারা শরীরচর্চা করেন তারা গড়ে প্রতিমাসে দুইদিন মানসিক বিষন্নতায় ভোগেন। বিষন্নতার কারণে আগে যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা আরো বেশী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষন্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ব্যায়াম করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয়, তারা গড়ে প্রতিমাসে ৭ দিন মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন যেখানে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিরা মাসে ১১ দিন অবসন্নতায় ভোগেন। কতক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং কতদিন পরপর শরীরচর্চা করেন সেটিও গুরুত্বপূর্ন। প্রতি দুইদিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকাকে সবচেয়ে বেশী কার্যকর বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামে হিতে বিপরীত তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকয়িাট্রির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম চেকরুড বলেন, \"এমন একটা ধারণা ছিল যে যত বেশী ব্যায়াম করা হবে ততই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তবে আমাদের গবেষণা বলে বিষয়টি এমনও নয়।\" তিনি জানান মাসে ২৩ বারের বেশী ব্যায়াম করলে বা ৯০ মিনিটের চেয়ে বেশী সময় ধরে ব্যায়াম করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপের দিকেও যেতে পারে। দলগত খেলাধূলার ইতিবাচক দিক হলো তা ব্যক্তিতে সামাজিকভাবে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রেখে একাকিত্ব বোধ করার সম্ভাবনা কমায়। যার ফলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা তৈরী হয় ও অবসন্নতা দূর হয়।", "doc2": "Les activités physiques boostent la santé mental Au total, 1,2 million de personnes ont fait le point sur leur niveau d'activité physique pendant un mois pour permettre de faire un parallèle avec leur bien-être mental. Les personnes qui ont fait des exercices physiques réguliers ont eu 1,5 fois moins de \"mauvais jours\" par mois que les non-pratiquants, selon l'étude. A lire aussi : Bénin: le surpoids recule face au sport Les sports d'équipe, le cyclisme et l'aérobic ont eu le plus grand impact positif sur la santé mentale. On a constaté que tous les types d'activités amélioraient la santé mentale, quel que soit l'âge ou le sexe des personnes, y compris les tâches ménagères et les soins aux enfants. L'étude, publiée dans The Lancet Psychiatry Journal, est la plus vaste étude du genre à ce jour, mais elle ne peut pas confirmer que l'activité physique est la cause d'une amélioration de la santé mentale. A lire aussi : Le jogging interdit en Sierra Léone Des recherches antérieures sur les effets des exercices physiques sur la santé mentale ont donné des résultats mitigés, et certaines études suggèrent que le manque d'activité pourrait entraîner une mauvaise santé mentale et en être le symptôme. Les exercices physiques sont connus pour réduire le risque de maladie cardiaque, d'accident vasculaire cérébral et de diabète. Les adultes participant à l'étude ont déclaré avoir vécu en moyenne 3 à 4 jours de mauvaise santé mentale chaque mois. Pour ceux qui étaient physiquement actifs, cela ne durait que deux jours. Iran : une femme dans le bodybuilding La notion de santé mentale au sens large du terme inclus notamment la fatigue intellectuelle, l'humeur, le sens de créativité et plusieurs autres aptitudes liées à la réflexion et au comportement. Parmi les personnes ayant déjà reçu un diagnostic de dépression, les exercices physiques semblaient avoir un effet plus important, se traduisant par sept jours de mauvaise santé mentale par mois, contre près de 11 jours chez ceux qui ne faisaient pas d'exercice. A lire aussi : Les Rasta Rockett du Nigeria L'étude s'est surtout basée sur la fréquence et la durée quotidienne de pratique d'une ou de plusieurs activités par les personnes sélectionnées pour l'étude. Être actif pendant 30 à 60 minutes tous les deux jours est une durée optimale. Cependant l'étude pourrait conclure qu'il pourrait y avoir trop d'exercices pour une certaine catégorie de personne. Les activités collectives socialisent davantage Dr Adam Chekroud, auteur de l'étude et professeur adjoint de psychiatrie à l'Université de Yale, a déclaré qu'auparavant, \"plus on faisait d'exercice, plus sa santé mentale était bonne, mais notre étude suggère que ce n'est pas le cas\". \"Faire de l'exercice plus de 23 fois par mois ou faire de l'exercice pendant plus de 90 minutes est associé à une mauvaise santé mentale.\" A lire aussi : Pour vivre longtemps, fuyez la solitude! Il a déclaré que l'impact positif des sports d'équipe pourrait réduire l'isolement et favoriser la résilience, tout en réduisant la dépression. Un lien difficile à établir Des exercices physiques réguliers boostent la santé mentale Les résultats étayent les directives gouvernementales recommandant 150 minutes d'activité physique par semaine. Mais l'étude comporte certaines limites. Il est basé sur l'auto-déclaration, qui n'est pas toujours exacte, et il n'y a aucun moyen de mesurer l'activité physique en dehors de sa pratique quotidienne. A lire aussi : Quand la Corniche de Dakar s'anime Dr Dean Burnett, neuroscientifique et chercheur associé de l'école de psychologie de l'Université de Cardiff, a déclaré que le lien entre exercice et santé mentale était difficile à cerner, mais cette vaste étude \"suggère fortement une association nette entre les deux\". \"Cependant, la nature de l'étude suggère même qu'il est difficile d'en dire plus avec une réelle certitude\", a-t-il déclaré. A lire aussi : Arabie Saoudite : une boxeuse brise les tabous Le professeur Stephen Lawrie, responsable de la psychiatrie à l'Université d'Edimbourg, a déclaré que les exercices physiques de groupe qui ont une forte portée de socialisation sont particulièrement bénéfiques pour la santé mentale, mais pas s'ils sont pratiqués de façon exagérée. A lire aussi : Les talents cachés du football africain \"Je pense que nous connaissons tous des gens qui semblent\" accros \"aux exercices physique et que cela commence à avoir un impact sur d'autres aspects de la vie, comme des activités sociales parce qu'il faut se lever dès l'aube pour parcourir plusieurs kilomètres ce qui est souvent mauvais pour les gens\", a-t-il ajouté."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48253556", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48284915", "doc1": "চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ এখনো বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় প্রতিষ্ঠান ছোট হোক বা বড়, নিয়োগ পদ্ধতি সবখানেই দ্রুত বদলাচ্ছে। তবে যে কোন চাকরির জন্য মুখোমুখি ইন্টারভিউ এখনো একটি বড় বিষয়। বড় বড় কোম্পানির নিয়োগকর্তারা মনে করেন, যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন ব্যক্তির সামনে বা প্যানেলের সামনে মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সামর্থ্য কারো ক্যারিয়ার যেমন গড়ে দিতে পারে, আবার শেষও করে দিতে পারে। তাই আপনার চাকরি প���বার সম্ভাবনা অনেকখানি নির্ভর করে ইন্টারভিউতে আপনি কতটা ভালো করেন তার ওপর। কীভাবে ইন্টারভিউতে ভালো করবেন এ বিষয়ে কয়েকটি অব্যর্থ টিপস এখানে দেওয়া হল: ১. গবেষণা করুন কারা আপনার ইন্টারভিউ নেবেন-- তাদের সম্পর্কে যতটা সম্ভব জেনে নিন। কারা আপনার ইন্টারভিউ নেবেন, তাদের পদবী কী, তারা কেমন-- তাদের সম্পর্কে যতটা সম্ভব জেনে নিন। যে প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করতে চাইছেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। প্রতিষ্ঠানটি কি নিয়ে কাজ করে, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী, এর স্বত্বাধিকারী কে বা কারা, বছরে তাদের আয়-ব্যয় কেমন, অর্থনৈতিক অবস্থা কী, প্রতিষ্ঠানটির মূল প্রতিযোগী কারা—এসব জানুন। বর্তমানে এসব জানার একটা ভালো উপায় হল ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। সেটি ঘেঁটে নোট নিন, নিয়োগকর্তাদের নামগুলো জেনে নিন এবং কিছু প্রশ্ন তৈরি করুন। আরো পড়ুন: পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে স্নায়ুবিজ্ঞানীদের টিপস বাংলাদেশে সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ বাড়ার কারণ কী চাকরিতে কোটা নিয়ে এত ক্ষোভের কারণ কী? ইন্টারভিউ এর শেষ পর্যায়ে যখন আপনাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে তখন এমনভাবে প্রশ্ন করুন যাতে আপনার সাক্ষাতকার গ্রহীতারা বুঝতে পারে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনি বেশ ভালোভাবে জানেন। যেখানে কাজ করতে যাচ্ছেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে আপনার জন্য ইন্টারভিউ দেওয়া সহজ হবে। আপনি সহজেই তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন আর আত্মবিশ্বাসীও থাকবেন। ২. অনুশীলনের বিকল্প নেই সাক্ষাৎকারের আগে অনুশীলনের বিকল্প নেই কথায় আছে - প্র্যাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট - যার অর্থ অনুশীলনই একজন মানুষকে ত্রুটিহীন করে। আপনাকে কী ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সম্ভাব্য উত্তরগুলোও ভেবে নিন। আপনি যদি বুঝতে না পারেন আপনাকে কী ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হতে পারে, ইন্টারনেটের সাহায্য নিন। ইন্টারনেটে এমন হাজারো ওয়েবসাইট আছে যেখানে ইন্টারভিউতে সাধারণত কেমন প্রশ্ন করা হয়ে থাকে সেগুলোর নমুনা উত্তরসহ পাওয়া যায়। আপনার উত্তরগুলো থিওরির মতন না হয়ে গল্পের মতন হওয়া ভালো। চাকরির ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে সেগুলো যে আপনার আছে সেটি গল্পের ছলে বলুন। 'আমি এ সব কাজ পারি'—এভাবে না বলে কাজের উদাহরণ দিতে পারেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে তিনটি ��াতে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েছে সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' রাজশাহীতে সর্দি-জ্বরের ঔষধে উল্টো অসুস্থ ১৪ শিশু যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট কখন, কোথায়, কীভাবে আপনি আপনার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা জানান। এতে আপনার আগের কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন সেটি যেমন বোঝা যাবে, তেমনি সাক্ষাতকার গ্রহীতারা বুঝতে পারবে নতুন কাজের ক্ষেত্রে আপনি কতখানি যোগ্য। ৩. পোশাকের দিকে খেয়াল রাখুন আগে দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারি আগে দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারি— পুরোনো হলেও এ কথা এক্ষেত্রে বেশ প্রযোজ্য। বুদ্ধিমান নিয়োগকর্তারা ইন্টারভিউ শুরুর তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আপনি যতই ভালো ইন্টারভিউ দিন না কেন, আপনার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে ইন্টারভিউয়াররা যদি বিরক্ত হন, তাহলে আদতে কোনো লাভ হবে না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ভার্জিনিয়া ইস্টম্যান নামের এক সাবেক নিয়োগ বিশেষজ্ঞ একটা মিডিয়া কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে আসা এক চাকরি প্রার্থীকে নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এভাবে-- 'ও রুমে ঢোকার তিন মিনিট আগেই ওর শরীর ও মুখের তীব্র দুর্গন্ধ আমাদের রুমে ঢুকেছিল।ওর পোশাক-পরিচ্ছদ তো খারাপ ছিলই, ঠোঁটের কোণায় খাবারের অংশ লেগেছিল, আর মোজা থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। আমি জীবনে কখনো কাউকে ওরকম বিশ্রীভাবে চুল আঁচড়াতে দেখিনি।' বলাই বাহুল্য যে ওই বেচারা চাকরিটা পায়নি। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য যাবেন, হতেই পারে তারা পোশাক নিয়ে অত মাথা ঘামায় না। তবুও তারা এটা অন্তত আশা করে না যে, ইন্টারভিউতে আপনি জিন্স পরে যাবেন। খালি চোখে দেখতে আরাম লাগে এমন পোশাক পরুন। নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে সাদা রঙকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। রঙিন, জবড়জং পোশাকের চেয়ে হালকা রঙের পোশাক পরাই ভালো। তবে পোশাকের রঙ যাই হোক, সাদা বা নীল, অবশ্যই তা যেন কুঁচকানো না হয়। ইন্টারভিউয়ের পোশাক হতে হবে পরিষ্কার এবং পরিপাটি। ৪. হ্যান্ডশেক করুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বুদ্ধিমান নিয়োগকর্তারা হ্যান্ডশেকের ধরন দেখেও অনেককিছু বিবেচনা করেন চাকরির ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান নিয়োগকর্তারা কিন্তু হ্যান্ডশেকের ধরন দেখেও অনেককিছু বিবেচনা করেন। সাধারণত প্রার্থী ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার পরে প্রথমেই এটি হয়ে থাকে। একজন ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী এবং পেশাদার লোক কখনোই কাঁপা কাঁপা, নিস্তেজ হাতে করমর্দন করবে না। আবার হ্যান্ডশেকের সময় খুব বেশি শক্ত করেও হাত ধরা যাবে না। তাতে মনে হবে আপনি অন্যের ওপর জোর খাটাতে ওস্তাদ বা ব্যক্তি হিসেবে আপনি আক্রমণাত্মক এবং কর্তৃত্ববাদী। দরকার হলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে করমর্দন করার অনুশীলন করে নিন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন হ্যান্ডশেকের সময় আপনি তাদের হাতে বেশি চাপ দিচ্ছেন বা একেবারেই আলতো করে হাত ধরছেন কিনা। ঠিকভাবে হ্যান্ডশেক করা অনুশীলন করুন। আর ইন্টারভিউয়ের সময় যার সাথে কথা বলছেন অবশ্যই তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন। অন্যদিকে তাকানো বা নিচের দিকে তাকিয়ে কারো সাথে কথা বলাটা এক ধরনের অভদ্রতাই। পকেটে বা ব্যাগে অবশ্যই টিস্যু রাখবেন! মনে রাখবেন-- ঘামে ভেজা হাত ধরতে কেউ পছন্দ করে না! ৫. হাসুন 'আমি দিলখোলা মানুষ এবং আমি এখানে আসতে পেরে খুশি'। যখন আপনার মাথার ভেতর অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, বুক ঢিপঢিপ করছে , নানা আশঙ্কায় নিজের নামই ভুলে যাওয়ার দশা -- তখন হাসাটা অবশ্য একটু কঠিনই। তবে হাসিমুখ হল একটা বিশ্ব স্বীকৃত ভঙ্গি যা দ্বারা আপনি সহজেই বোঝাতে পারেন-- 'আমি দিলখোলা মানুষ এবং আমি এখানে আসতে পেরে খুশি'। তাই দরজায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে হাসি রাখুন, হাসিমুখে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিন। বডি ল্যাংগুয়েজের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, ইন্টারভিউয়ের সময় কখনো কাত হয়ে বসবেন না। সবসময় সোজা হয়ে বসুন। ৬. নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ইন্টারভিউ রুমে ঢুকবার আগে জোরে কয়েকবার শ্বাস নিন। অ্যাড্রেনালিন আপনাকে যেমন সাফল্য এনে দিতে পারে, তেমনি ঘটাতে পারে সর্বনাশও। আপনি হয়ত সব ধরনের প্রস্তুতিই নিয়ে গেলেন, কিন্তু নার্ভাসনেসের কারণে ইন্টারভিউয়ের সময় সবকিছুই ভুলে গেলেন কিংবা এমনভাবে আপনার হাত ঘামতে শুরু করল যে বন্ধুদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক অনুশীলন করাটা কোন কাজেই এলো না! যদি আপনার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটবার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইন্টারভিউ রুমে ঢুকবার আগে জোরে কয়েকবার শ্বাস নিন। মনে মনে ছক কষে নিন ভেতরে গেলে কি করবেন। অ্যাড্রেনালিনকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেটা কিন্তু আপনাকে ভালো ইন্টারভিউ দিতে সাহায্যই করবে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বলেন যে, ইন্টারভিউয়ের সময় ঘাবড়ে না গিয়ে আপনার প্রস্তুত করা উত্তরগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে ইন্টারভিউ ভাল�� হয়। ৭. ক্যারিশমাটিক হোন ভেবে দেখুন কোন কোন কারণে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। 'মুখোমুখি সাক্ষাতকার আসলে একটি সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে আরেকজনের কাছে তুলে ধরার। এখানে আপনি আরেকজনকে নিজের ব্যাপারে ভালো ধারণা দেবার সুযোগ পান, বলতে পারেন আপনার ঝোঁক বা প্যাশন কোনদিকে' বলেন ডার্মট রুনি, যিনি একটি ছোট কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক। তাই ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে ভাবুন, আপনার সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য কোনটি? আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচি নিয়ে ভালো করে ভাবুন। ভেবে দেখুন কোন কোন কারণে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। সেই সাথে কাজের বিষয়ে জোর দিতে ভুলবেন না। আপনি কেন কাজটি চান, আপনি কতটা পছন্দ করেন এ কাজ, এ কাজটি পেলে আপনি কতটা উপকৃত হবেন-- এ বিষয়গুলো বারবার বলবেন। আপনার এ কথাগুলো ইন্টারভিউয়ারের মতামতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ৮. খেই হারাবেন না ইন্টারভিউ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না। ইন্টারভিউয়ারদের প্রশ্ন শুনে যদি আপনার মনে হয় আপনি অথৈ সাগরে পড়েছেন, কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না, এই চাকরি পাবার কোনো সম্ভাবনাই আর নেই—তবু ঘাবড়ে যাবেন না। আপনার মনে হতেই পারে যে ইন্টারভিউয়াররা আপনাকে পছন্দ করছে না, কিংবা এ কাজ পাবার কোনো আশা নেই, তবু ইন্টারভিউ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না। কে জানে হয়ত পরের প্রশ্নটির উত্তরই আপনি খুব ভালোভাবে দিতে পারবেন! তাই ঘাবড়ে না গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে সব প্রশ্ন মোকাবেলা করুন। দেখবেন চাকরিটা পেয়ে গেছেন!", "doc2": "Ne laissez pas le trac ruiner vos chances. Le monde du recrutement - tant pour les grandes que pour les petites entreprises - est en pleine mutation. Mais il y a un élément clé qu'il ne faut pas sous-estimer : l'entretien en face-à-face. \"C'est encore de loin l'aspect le plus important de tout processus de recrutement \", confirme Jen Tippin, une spécialiste du recrutement qui travaille pour le groupe bancaire Lloyds Banking Group. Elle a la conviction que votre capacité à répondre à des questions devant une personne ou un panel peut faire ou défaire votre carrière. Lire aussi : Pourquoi tant d'hommes incompétents deviennent-ils des leaders ? Détester votre patron pourrait vous tuer Alors, ne laissez pas le trac ou une mauvaise cravate ruiner vos chances. Voici quelques conseils indispensables pour vous aider à réussir vos entretiens : 1. Faites vos recherches Il n'y a qu'un seul moyen de savoir ce à quoi vous attendre : faire des recherches. Ne vous faites pas surprendre. Sachez qui va vous faire passer l'entretien et apprenez-en le plus possible à leur sujet. Faites des recherches approfondies sur l'entreprise : Quelle sont les activités de l'entreprise ? Quel est son chiffre d'affaires annuel ? Qui l'a dirige ? Quelle est son importance dans le secteur ? Et qui sont ses principaux concurrents ? Le meilleur point de départ est le site Internet de l'entreprise. Prenez des notes, apprenez les noms et préparez des questions à poser à la fin de l'entretien qui montrent à quel point vous avez fait vos devoirs. C'est tout un travail de préparation que vous pouvez faire avant le grand jour pour vous aider à vous sentir prêt et confiant. Lire aussi : Un buzz sur le net lui fait décrocher un job Il reçoit une voiture après 30 km de marche 2. S'entraîner régulièrement Pourquoi ne pas demander à vos amis de simuler un entretien pour vous entraîner ? Créez une liste de questions potentielles et entraînez-vous à répondre à toutes. Si vous êtes à court d'idées, il y a beaucoup de sites qui partagent les questions d'entretien classiques. Lorsque vous préparez vos réponses, pensez en termes de récits : il faut des exemples concrets qui expliquent où, quand et comment vous avez démontré toutes les compétences requises dans la description de poste. Ces courtes histoires sur vos réalisations et expériences passées devraient illustrer comment vous avez apporté une valeur ajoutée à vos anciens employeurs et comment vous allez faire de même pour ce nouveau rôle. Lire aussi : Le Pape : « supprimer des emplois est un pêché » 3. Sapez-vous comme jamais En cas de doute, rappelez-vous que cela ne peut pas faire de mal d'être bien habillé. Les premières impressions sont cruciales : certains employeurs potentiels se décideront dans les 30 premières secondes - vous pourriez être brillant, mais si votre tenue vestimentaire les a déjà rebutés, vous allez livrer une bataille perdue d'avance. Virginia Eastman, ancienne spécialiste du recrutement, se souvient d'avoir fait passer un entretien à un homme qui avait postulé pour diriger une entreprise de médias : \"Le parfum de sa mauvaise haleine et de son hygiène personnelle douteuse est entré dans la pièce trois minutes avant lui. Il était très mal vêtu : chaussettes bizarres, nourriture sur son revers... la pire coupe de cheveux que j'aie jamais vue\", raconte-t-elle. Inutile de dire qu'il n'a pas eu le poste. Lire aussi : Les vêtements jetés atterrissent en Afrique Que deviennent les vêtements invendus ? S'habiller pour un entretien d'embauche Même si l'entreprise a une politique vestimentaire qui autorise les tenues décontractées, personne ne s'attend pour autant à ce que vous portiez des jeans à l'entretien d'embauche. Les experts en recrutement vous recommandent d'opter pour une robe sophistiquée ou un costume et une cravate. Pour des entretiens plus informels, optez pour une chemise blanche et propre avec un pantalon ou une jupe. Assurez-vous que vos vêtements sont choisis et repassés la veille au soir pour éviter une panique de dernière minute et ne mangez pas de soupe de tomates en route. 4. Ayez une poignée de main ferme Votre poignée de main est importante, alors perfectionnez-la avant votre grand entretien. C'est souvent quelque chose que nous oublions, mais un employeur potentiel va vous juger sur votre poignée de main. Après tout, c'est l'une des premières choses qui va se produire quand vous entrerez dans cette pièce. Une poignée de main ferme dit que je suis confiant, en contrôle, direct et professionnel. Trop ferme et vous aurez l'air dominant et agressif. Trop molle et vous aurez l'air d'un poisson mouillé. Lire aussi : Des exercices réguliers boostent la santé mentale Pour vivre longtemps, fuyez la solitude! Si vous êtes inquiet, entraînez-vous avec vos amis et obtenez leur point de vue sur la question de savoir si vous devez raffermir ou desserrer votre prise. Le jour J, assurez-vous de garder un contact visuel avec tous ceux avec qui vous avez des contacts physiques. Et ayez des mouchoirs stratégiques dans votre poche - personne ne veut serrer une paume en sueur ! 5. Souriez ! Votre sourire doit dire : \" je suis si heureuse d'être ici\". Plus facile à dire qu'à faire quand le cœur bat vite, que l'estomac est noué et que l'on a peur d'oublier son propre nom. Mais le sourire est un langage universel qui dit : \"Je suis heureux d'être ici, et je suis une gentille personne\". Alors, offrez un grand sourire quand vous passez la porte et essayez de sourire autant que vous le pouvez tout au long de la conversation. C'est un moyen facile de marquer des points ! En ce qui concerne le langage corporel, n'oubliez pas de vous asseoir droit et de ne jamais vous affaler. 6. Ne laissez pas vos nerfs prendre le dessus sur vous Respirez profondément - garder un esprit calme sera votre meilleur allié. La montée d'adrénaline peut être une expérience palpitante et impressionnante ou... un désastre. Les nerfs en vrac peuvent réduire à néant toutes les recherches que nous avons menées et les faits que nous avons mémorisé, ou bien faire transpirer nos paumes de mains, nous faire trembler les mains et avoir un noeud dans l'estomac. Lire aussi : H&M promet des \"salaires équitables\" à ses travailleurs éthiopiens La réplique de Trump à Jay-Z sur le chômage des Noirs Si vous savez que vos nerfs sont votre plus grand ennemi, soyez proactif : respirez profondément en attendant d'être appelé dans la salle. Ce qu'il y a de génial avec l'adrénaline, c'est qu'elle peut nous aider à donner le meilleur de nous-mêmes si nous l'exploitons efficacement. Les experts en recrutement vous suggèrent de canaliser ses nerfs pour donner des réponses ciblées et faire une prestation hors du commun. 7. Soyez charismatique Laissez transparaître votre personnalité. \"Les entretiens en face à face donnent vraiment l'occasion à la personne de vous montrer un peu de son charisme, de vous montrer sa motivation\", explique Dermot Rooney, qui dirige une petite entreprise de construction. Alors, avant de vous asseoir pour cet entretien, réfléchissez : \"Qu'est-ce qui fait de vous ce que vous êtes ?\" Profitez-en pour montrer votre personnalité et votre charisme, ce qui vous distingue de la foule. Et n'oubliez pas d'être positif au sujet du travail lui-même - à la fin de l'entrevue, répétez à quel point vous aimez l'entreprise et combien vous seriez reconnaissant d'avoir l'occasion d'y travailler-. Exprimer cet enthousiasme pourrait vous distinguer d'un autre candidat. Comment écrire un CV 8. Ne perdez pas votre élan Même si vous avez l'impression d'être en train d'échouer - sans avoir la moindre chance de décrocher cet d'emploi - continuez, ne faites pas de suppositions hâtives. Continuez, donnez le meilleur de vous-même du début à la fin. Vous pourriez être convaincu que les gens d'en face vous détestent, mais vous pourriez être loin de la vérité. La prochaine réponse que vous donnerez pourrait être celle qu'ils attendaient, alors continuez et foncez. C'est bon, ça va marcher ! Ce texte a été adapté de l'émission de Radio 4 \"Getting Hired\", de Lesley Curwen. A regarder : Emploi : comment réussir son premier jour au travail ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46773095", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46784030", "doc1": "২০১৯ সালের প্রথম সোমবারকে 'বিচ্ছেদের দিন বলে ডাকছেন বিশেষজ্ঞরা' সুতরাং কি এমন ঘটে, যা এতো যুগলকে এরকম উৎসবের মতো করে বিয়ে বিচ্ছেদে আগ্রহী করে তোলে? ব্রিটেনের সম্পর্ক বিষয়ক একটি দাতব্য সংস্থার তথ্য মতে, দেশটির ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ মনে করে, ক্রিসমাস আর নতুন বছর হচ্ছে অতিরিক্ত উত্তেজনা এবং সম্পর্কে চাপের কারণ। '' কেউ বলছে না যে, ক্রিসমাসই কাউকে বিচ্ছেদ বা ছাড়াছাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি এর মধ্যেই নানা সমস্যার মধ্যে থাকেন, তাহলে এই উৎসবের অতিরিক্ত চাপ, যেমন অতিরিক্ত খরচ এবং পারিবারিক বিরোধে খারাপ লাগা শেষপর্যন্ত বিচ্ছেদের দিকে গড়াতে পারে'', বলছেন সিমোন বোস, রিলেটের একজন পরামর্শক। ফলে ছুটি শেষে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বিচ্ছেদের ব্যাপারে আলাক করতে চাওয়া যুগলের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে, যুক্তরাজ্যের অনলাইন এইচএম কোর্ট এন্ড ট্রাইব্যুনাল সার্ভিস জানিয়েছে, সংস্থাটি ক্রিসমাসের শুরু থেকে নববর্ষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের জন্য ৪৫৫টি অনলাইন আবেদন এসেছে। যার মধ্যে ১৩টি আবেদনই ছিল ক্রিসমাসের দিনে। বিচ্ছেদ বিষয়ক একটি সহায়তা প্রতিষ্ঠান, অ্যামিকেবলের তথ্য মতে, শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাজ্য জুড়ে ৪০৫০০ মানুষ 'বিচ্ছেদ' শব্দটি লিখে কম্পিউটারে সার্চ করেছে। জানুয়ারির আগে ঠিক কী ঘটে? অনেক সময় ছুটি বা অবকাশে গিয়ে খরচসহ নানা কারণে তৈরি হওয়া বিরোধ থেকে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হয় ''এটা পরিষ্কার যে, ক্রিসমাস আর নববর্ষ হচ্ছে এমন একটা সময় যখন যুগলরা লম্বা একটা সময় ধরে একত্রে থাকে এবং তাদের আবেগও উত্তুঙ্গ অ���স্থায় থাকে,'' বলছেন অ্যামিকেবলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কেট ড্যালি। সম্পর্ক খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সন্তান বা পরিবারের কথা ভেবে অনেক যুগল তাদের খারাপ সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যান। অন্য অনেকে আরেকবার শেষ চেষ্টা করে দেখতে চান। অনেক সময় যুগলরা ক্রিসমাস বা কোন ছুটির দিনের কথা আলাপ করতে গিয়ে ঝগড়ার মতো পরিস্থিতি এড়িয়ে চলেন। তখন তারা পরিবার বা ভবিষ্যতে একসঙ্গে সময় কাটানোকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু সম্পর্ক যদি তলানিতে গিয়ে ঠেকে, তখন কোন আকর্ষণহীন জীবন কাটানো, ধরাবাঁধা পারিবারিক কাজের মধ্য দিয়ে গেলে সেটা ক্রমেই একঘেয়ে বলে মনে হতে পারে। হয়তো মনে হতে পারে এরকমটা আর বহন করা সম্ভব নয়। বছরের এই উৎসবের সময়টায় এসে অতিরিক্ত খরচ আর পারিবারিক চাপের কারণে এ ধরণের খারাপ সম্পর্কগুলো আর টিকে থাকতে পারে না, বরং দীর্ঘদিনের চাপা পড়ে থাকা বিষয়গুলো সামনে বেরিয়ে আসে। সুতরাং মাস শেষে, যেমনটা বলছে ড্যালি, ''এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, অনেক মানুষ বুঝতে শুরু করে যে, তারা অখুশি এবং ছাড়াছাড়ির বিষয়টি ভাবতে শুরু করে।'' এটা শুধুমাত্র ক্রিসমাস শেষেই হয় তা নয়, বরং গ্রীষ্মের ছুটি শেষেও বিচ্ছেদের এই প্রবণতা দেখা যায়। নতুন বছরের প্রতিশ্রুতি অনেক মানুষ নতুন বছরকে নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ হিসাবে দেখেন সাধারণত নতুন বছরকে দেখা হয় ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার, নিজেদের পুনরায় গড়ে তোলার ও নতুন করে শুরু করার একটি সময় হিসাবে। কোন মানুষ যদি ভাবতে থাকে যে, সে একটি খারাপ পরিস্থিতি বা সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে, তারা হয়তো সেই অবস্থায় আরো ১২টি মাস আর থাকতে চাইবে না-সেটা শারীরিক বা মানসিকভাবেই হোক না কেন। ''দুঃখজনক ব্যাপার হল, অনেক যুগল মনে করে যে, ফেরত যাওয়ার আর কোন উপায় নেই এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা বিচ্ছেদ করতে চান,'' বলছেন ড্যালি। অ্যামিকেবলের তথ্য বলছে, বিচ্ছেদ নিয়ে ২০১৮ মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহের দিনটি ছিল বছরের প্রথম কর্ম দিবসটি। দাতব্য সংস্থা রিলেটের তথ্যও বলছে, জানুয়ারির প্রথম কর্ম দিবসে বিচ্ছেদের বিষয়ে তারা ১৩ শতাংশ নতুন টেলিফোন পান এবং ওয়েবসাইটে ৫৮ শতাংশ ব্যবহারকারী বেড়ে যায়। তবে তারা এটাও বলছেন, সঠিকভাবে পরামর্শ পেলে অনেক দম্পতি তাদের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে পারে, অথবা অন্তত বেদনাহীনভাবে সম্পর্কটি শেষ করতে পারেন। কিভাবে সম্পর্কের ঝামেলা এড়ানো যায়: সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন প্রতিটি সম্পর্কেই মনোযোগ ও যত্নের দরকার হয়। কিন্তু সেজন্য আপনি একা নন। আপনি যদি পারিবারিকভাব চমৎকার একটি ছুটি উপভোগ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেজন্য রিলেটের কিছু পরামর্শ রয়েছে: ...........অথবা ভালোভাবে বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে পারেন। বিচ্ছেদ যদি করতেই হয়, সেক্ষেত্রে ভালোভাবে সেটি করার জন্য বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ রয়েছে: তালাক নিয়ে আলোচনা ১.বিচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু পর যদি আপনি সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে আবার সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন, তাহলে হয়তো অযথাই সময় ক্ষেপণ হবে। কারণ আপনি এবং আপনার সঙ্গী হয়তো তখন ভিন্ন ধরণের মানসিক অবস্থায় রয়েছেন। আপনার সঙ্গীকে খানিকটা সময় দিন, যাতে তিনি পুরো বিষয়টি আবার ভেবে দেখতে পারেন। বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শক বা পেশাদারদের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে, যা হয়তো বিচ্ছেদের সময়কার বেদনার কাটিয়ে ওঠা এবং মানিয়ে নিতে সহায়তা করতে ২. আবেগ নয়, যুক্তির দিক থেকে আলোচনা করুন। বড় ধরণের কোন আইনি ঝামেলায় না গিয়েই আলোচনার মাধ্যমে ভালোভাবে বিচ্ছেদ করা সম্ভব। তবে বিয়ের সময় যেমন জীবনযাপন করেছেন, দুজনের কেউই হয়তো বিচ্ছেদের পরে আর সেরকম জীবনযাপন করতে পারবেন না- প্রথমেই এটা মেনে নেয়া ভালো। ৩. বিচ্ছেদ যদি করতেই হয়, তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে একটি সময় ঠিক করে নিন, এবং সেই সময়ে স্থির থাকুন। কারণ বিচ্ছেদের বিষয়টি যতো দীর্ঘ হবে, ততো কষ্ট এবং খরচ বাড়বে। ৪. বিচ্ছেদের খরচ বা অর্থনৈতিক বিষয়ে দুজনে যৌক্তিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নিন। সেখানে সম্পদ এবং ঋণ- উভয়ের ক্ষেত্রেই দুজনকে সমান দায়িত্ব নিতে হবে। ৫. প্রথমেই কোন আইনজীবীর কাছে না দৌড়ানো ভালো। কারণ সেটি খরচ বাড়িয়ে দেয়। বরং প্রথমে নিজে থেকে বিচ্ছেদের আইনকানুন জেনে নিন। অনেক সংস্থা এক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরামর্শ ও সহায়তা করে থাকে- তাদের সাহায্য নিতে পারেন। ৬. অতীতের দিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখুন। আলোচনার ধরণ পাল্টান। চিন্তা করুন, কিভাবে নিজেকে সুখী করা যায়। যদি সন্তান থাকে, তাহলে ভাবুন তাদের কিভাবে খুশী রাখা যায়। অতীত ভেবে নিজের সময়, শক্তি বা অর্থ নষ্ট করবেন", "doc2": "Lundi 7 janvier 2019 est connu comme étant le 'jour du divorce' Alors, que se passe-t-il pendant la période festive pour inciter autant de couples à se séparer ? Selon Relate, une organisation caritative britannique, 55 % des adultes britanniques pensent que Noël et le Nouvel An sont une période de tensions supplémentaires pour les relations. A lire aussi : 13 sacs d’argent pour un divorce \"Personne ne dit que Noël en soi mène au divorce et à la séparation, mais si vous rencontrez déjà des problèmes, des \"pressions festives\" telles que des difficultés financières et des querelles familiales peuvent pousser les choses à néant\", a déclaré Simone Bose, un conseiller à Relate. En conséquence, un nombre croissant de familles poussées au-delà du point de rupture pendant les vacances contactent cette organisation tous les mois de janvier. En outre, le service en ligne des tribunaux pénaux britanniques au Royaume-Uni a reçu 455 demandes de divorce en ligne de la veille de Noël au nouvel an, dont 13 le jour de Noël même. Et une étude d'Amicable, un service d'assistance en matière de divorce, suggère que plus de 40 500 personnes au Royaume-Uni saisiront le mot \"divorce\" ce mois-ci dans leurs moteurs de recherche. A lire aussi :L'UE et Londres scellent un accord de divorce Conseils pour éviter les conflits ... Prévoyez des moments de détente Toutes les relations exigent des efforts, mais vous n'êtes pas seul. Des organisations telles que Relate vous conseillent sur la manière de passer des vacances sans conflits :"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52163210", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52199045", "doc1": "সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার জরুরি নয় বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন না? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে বলছে, শুধুমাত্র দুই ধরণের মানুষের সুরক্ষা মাস্ক পরা উচিত। তারা হলেন: সাধারণ জনগণের জন্য তারা মাস্ক ব্যবহারের সুপারিশ করছেন না। তার কারণ? সংক্রমিত কেউ যখন কথা বলেন, কাশি দেন বা হাঁচি দেন, তখন খুব ক্ষুদ্র আকারে করোনাভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। সরাসরি স্পর্শ বা বিষাক্ত কোন বস্তুর মাধ্যমে সেগুলো চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে সেগুলো শরীরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করছে যে, সাধারণ মানুষজনও মাস্ক ব্যবহার করে উপকার পায় কিনা। তারা পরীক্ষা করে দেখছেন যে, ভাইরাসটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাওয়া যায় কিনা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? ঘরে বানানো মাস্ক কাজ করে? যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আমেরিকান নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে যে, করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকাগুলোয় বাইরে গেলে তারা যেন মাস্ক ব্যবহার করেন অথবা তাদের মুখমণ্ডল স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাদুর্ভাবের প্রধান কেন্দ্র, নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের এর আগেই এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন,''এটা একটা স্কার্ফ হতে পারে। আপনার বাড়িতে তৈরি কিছু একটা হতে পারে।'' তবে এ ধরণের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেডিকেল ও বৈজ্ঞানিক পরামর্শ অনুসরণ করছে সরকার। ইংল্যান্ডের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর জোনাথন ভ্যান টম বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, এসব মাস্ক পরে সুস্থ মানুষজনের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাচ্ছে। ''এখন সবচেয়ে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা,'' তিনি বলছেন। পুনরায় ব্যবহার উপযোগী কাপড়ের মাস্কগুলোর ব্যবহারও স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং সেগুলো বরং সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িতে দিতে পারে বলে বলছেন ইউরোপিয়ান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই কাপড়ের ভেতর দিয়ে ভাইরাস চলে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরেও ঘরে বসে কীভাবে মাস্ক তৈরি করতে হয়, এ নিয়ে অনলাইনে অসংখ্য পরামর্শ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ঘরে বানানো মাস্কের মানের বিষয়টি কোন পর্যালোচনা বা যাচাই বাছাই করা হয় না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বানানো মাস্কগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে তৈরি করতে হয়। নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের পরারর্শ দেয়া হয়েছে যেন তারা বাইরে গেলে মাস্ক অথবা স্কার্ফ ব্যবহার করেন কোন ধরণের মাস্ক সবচেয়ে ভালো? হাসপাতালে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের মাস্ক বিভিন্ন ধরণের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয় যে মাস্কটি, সেটি হলো এফএফপি৩ অথবা এন৯৫ অথবা এফএফপি২, যেগুলোয় একটি বাতাস পরিশোধনের যন্ত্র থাকে। জনসাধারণের জন্য এসব মাস্ক ব্যবহারের সুপারিশ করেন না বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের জন্য, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসেন এবং বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এরা হচ্ছেন সেই সব চিকিৎসক, সেবিকা বা স্বাস্থ্যকর্মী, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সম্ভাব্য রোগীদের এক মিটারের মধ্যে থাকেন। এই কর্মীরা হাসপাতাল, প্রাথমিক সেবা, অ্যাম্বুলেন্স অথবা বাড়িতে সেবাদানকারীরাও হতে পারেন। অন্য যে স্বাস্থ্য-কর্মীরা কম ঝুঁকিতে থাকেন, তারা সাজিক্যাল মাস্ক পরতে পারেন। বেলজিয়ামের এই বাসিন্দা বাড়িতে তৈরি মাস্ক পরে আছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আর কি সুরক্ষা দিতে পারে? যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ পরামর্শ দিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে হতে পারে, এমন সব ক্ষেত্রে হাতমোজা এবং অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে যেসব স্বাস্থ্য কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, তাদের শুধুমাত্র অ্যাপ্রন, মাস্ক, হাতমোজা ও চশমার বাইরেও সব ধরণের সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু সাধারণ জনগণকে হাতমোজা বা অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়নি। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ যেসব পরামর্শ দিয়েছে, তা হলো:", "doc2": "Le coronavirus se répand par des gouttelettes qui peuvent se répandre dans l'air quand les personnes infectées parlent, éternuent ou toussent. Certaines personnes fabriquent leur propre masques- les Américains sont invités à les utiliser en public, mais sont-ils sûrs? Pourquoi tout le monde ne porte pas de masque? L'Organisation mondiale de la Santé (Oms) déclare que seuls deux groupes de personnes doivent porter des masques de protection: Les masques sont recommandés pour le public parce que: Un masque facial peut-il vous protéger contre le coronavirus? Le coronavirus se répand par des gouttelettes qui peuvent se répandre dans l'air quand les personnes infectées parlent, éternuent ou toussent. Ces gouttelettes peuvent entrer dans le corps à travers les yeux, le nez et la bouche, directement ou après avoir été en contact avec un objet contaminé. Cependant, des experts à l'OMS sont en train de réfléchir à la possibilité pour le grand public de porter des masques. Un groupe d'experts doit examiner la recherche sur le fait que le virus peut être projeté plus loin que ce que l'on pensait. Est-ce que les masques faits maison marchent? Beaucoup de personnes fabriquent leur propre masque Les Américains sont invités à utiliser des habits propres ou des tissus pour se couvrir le visage en public. Les autorités américaines déclarent que les masques médicaux sont en rupture et doivent être laissés aux agents de la santé. Seules les malades et ceux qui s'occupent des patients atteints du coronavirus, avaient été appelés à porter des masques dans un premier temps. Mais les autorités américaines souhaitent que les nouvelles règles vont obliger les personnes asymptomatiques à ne plus propager le virus. Cependant les masques en tissus réutilisables ne sont pas recommandés et peuvent même augmenter les chances d'infection, indiquent des experts européens. Ils soutiennent qu'il y a de grande chance que les particules du virus se collent aux habits. Ce qui signifie que l'habit retient le virus. L'Angleterre n'invite pas les gens à porter des masques médicaux ou faits maisons. Le secrétaire à la Santé, Matt Hancock déclare que le gouvernement est en train de suivre les conseils des médecins et des scientifiques sur leur usage. Malgré cela, il y a énormément de conseil sur comment faire son propre masque, avec certains sites suggérant les meilleures options. Cependant, les masques faits maison ne sont pas régulé tandis que les masques officiels respectent des normes de sécurité. Quels est le meilleur type de masque? Dans les hôpitaux, différents types de masques offrent différents niveau de protection. Le plus efficace est le FFP3 ou alternativement le N95 ou le FFP2. Les experts ne recommande pas au public de les utiliser. Ils sont pour les agents de santé qui ont des contacts rapprochés avec les patients atteint de coronavirus et donc qui ont de grand risque d'être exposé aux gouttelettes infectées dans l'air. Quoi d'autres peut protéger contre le coronavirus? Les masques, les gants et les kits de protections peuvent aider à stopper la propagation du Covid-19 Les gants et les autres accessoires de protection sont recommandés pour les agents de santé. Les agents dans les situations les plus risquées sont invités à porter des combinaisons complètes de protection plutôt que de simples accessoires. Le public n'est pas invité à porter des gants ou d'autres accessoires de protection. Pour vous protéger du coronavirus, vous devez: Les gestes recommandés et ceux à éviter"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45821963", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45838612", "doc1": "জামাল খাসোগজি, সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এসব রেকর্ডিং-এ দেখা যাচ্ছে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কনসুলেটের ভেতরে জামাল খাসোগজিকে আটক করেছে, তারপর তাকে হত্যা করেছে এবং তার দেহকে খণ্ড-বিখন্ড করেছে। বিশেষভাবে অডিও রেকর্ডিং থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের যোগসাজশের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে তারা বলছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা, যিনি এই অডিও এবং ভিডিও সম্পর্কে জানেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, \"জামাল খাসোগজি কনসুলেটের ভেতরে ঢোকার পর সেখানে কী ঘটেছিল তার একটা ধারণা ঐ অডিও রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে।\" \"আপনি শুনতে পাবেন লোকজন আরবিতে কথা বলছে,\" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, \"আপনি শুনতে পাবেন তাকে (জামাল খাসোগজিকে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে এবং পরে খুন করা হচ্ছে।\" তুর্কী কর্তৃপক্ষ অন্য যে মার্কিন কর্মকর্তাকে এই প্রমাণ দেখিয়েছে, তিনি বলছেন এসব রেকর্ডিং থেকে জামাল খাসোগজিকে মারধরের প্রমাণ মিলেছে। সৌদি গোয়েন্দা দলের ওপর সিসিটিভি ফুটেজ। জামাল খাসোগজি এক সময় সৌদি রাজপরিবারের খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচনা করে তিনি সংবাদপত্রে লেখা ছাপিয়েছেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের ঐ খবরে বলা হয়েছে, মি. খাসোগজি নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথেই তুরস্ক কেন সৌদি আরবকে দোষারোপ করেছে এসব প্রমাণ থেকে তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, কিন্তু তুর্কী সরকার এসব অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ করতে নারাজ কারণ এতে প্রমাণ হয়ে যাবে যে তুরস্ক একটি বিদেশি দূতাবাসের ভেতরে গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে। সৌদি আরব এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। মি. খাসোগজির অন্তর্ধানের ঘটনা যৌথভাবে তদন্ত করার জন্য তারা তুরস্কের প্রতি প্রস্তাব দিয়েছে এবং আঙ্কারা সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমাদের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক কী ঝুঁকিতে পড়েছে? তারেককে ফেরত আনার পথ কেন এখনও কঠিন? দালাইলামার ব্যক্তিগত জীবন আসলে কেমন? কেন সৌদি কনস্যুলেটে এসেছিলেন জামাল খাসোগজি? মি. খাসোগজির কনস্যুলেটে আসার উদ্দেশ্য ছিল, তার পূর্বতন স্ত্রীকে যে তিনি ডিভোর্স (তালাক) দিয়��ছেন - এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়া, যাতে তিনি তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে পারেন। জামাল খাসোগজির সৌদি কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য। মি. খাসোগজি তার মোবাইল ফোনটি মিস চেঙ্গিসের হাতে দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। মিজ চেঙ্গিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মি. খাসোগজি এ সময় বিমর্ষ এবং মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন - কারণ তাকে ওই ভবনে ঢুকতে হচ্ছে। হাতিস আরো বলেন, মি. খাসোগজি তাকে বলেছিলেন যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে তিনি যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। হাতিস চেঙ্গিস, জামাল খাসোগজির হবু বধু। তিনি জানান, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি জামাল খাসোগজিকে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন নি। বুধবার সকালবেলা কনস্যুলেট খোলার সময় তিনি আবার সেখানে উপস্থিত হন। তখন পর্যন্ত মি. খাসোগজির কোন খোঁজ মেলেনি। তার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ।", "doc2": "CCTV footage shows missing Saudi journalist Jamal Khashoggi entering the Saudi consulate in Istanbul. M. Khashoggi, un critique du gouvernement saoudien, n'a pas été vu depuis son entrée dans le bâtiment le 2 octobre. Selon une source proche de l'enquête, les services de renseignement turcs disposaient de \" preuves documentées \" du meurtre. L'Arabie saoudite nie ces allégations indiquant que le journaliste a quitté le bâtiment. La disparition de Jamal Khashoggi a suscité l'indignation internationale. Jamal Khashoggi : une disparition inquiétante Jamal Khashoggi: What we know about the journalist's disappearance and death Que révèlent les enregistrements? Les derniers rapports suggèrent qu'il y a eu une agression et une lutte au consulat. Une source de sécurité turque a confirmé à BBC Arabic l'existence d'un enregistrement audio et vidéo. Ce qui n'est pas clair, c'est si quelqu'un d'autre que des fonctionnaires turcs les a vus ou entendus. Selon une source citée par le Washington Post, des hommes peuvent être entendus battre M. Khashoggi; il ajoute que les enregistrements montrent qu'il a été tué et démembré. \"Vous pouvez entendre sa voix et les voix des hommes qui parlent arabe \", a déclaré une autre source au Post. \"Vous pouvez entendre comment il a été interrogé, torturé puis assassiné\". M. Khashoggi est un chroniqueur pour le journal. Où se trouve Jamal Khashoggi ? Une délégation de saoudien arrive au Consulat à Istanbul La télévision turque a déjà diffusé des images du moment où M. Khashoggi s'est présenté au consulat pour un rendez-vous au cours duquel il devait recevoir des papiers pour son prochain mariage avec sa fiancée turque Hatice Cengiz. Par ailleurs, une vidéo d'hommes décrits comme des agents des services de renseignement saoudiens entrant et sortant de Turquie a été diffusée. Une équipe de 15 personnes a été identifiée par les médias turcs qui sont décrits comme étant impliqués dans la disparition de M. Khashoggi. La BBC a appris que l'un d'eux était Maher Mutreb, un colonel du renseignement basé à Londres, et un autre était considéré comme un spécialiste en médecine légale. Plus tôt cette semaine, le chroniqueur Kemal Ozturk, considéré comme proche du gouvernement turc, a affirmé qu'il y avait une vidéo du moment où Jamal Khashoggi a été tué."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/52601113", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56254872", "doc1": "রেমডেসিভির নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশেও আটটি কোম্পানি এ ওষুধ তৈরি করার অনুমোদন পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, রেমডেসিভিরকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একমাত্র ওষুধ হিসেবে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, বিষয়টা আসলে সে রকম নয়। গবেষণার বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেখা গেছে যেসব রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে তারা ১১ দিনে সুস্থ হয়েছে এবং যাদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি তারা ১৫ দিনে সুস্থ হয়েছে। পার্থক্যটা শুধু এখানেই। রেমডেসিভির নিয়ে এর আগেও গবেষণা হয়েছিল - সার্স করোনা, মার্স করোনা এবং ইবোলা ভাইরাসের বিপক্ষে। তখন এ ওষুধ কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত এফডিএ'র অনুমোদন পায়নি। এবার রেমডেসিভির নিয়ে প্রথম গবেষণাটি হয়েছিল চীনে। কিন্তু চীন বলেছিল করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এ ওষুধ কার্যকরী নয়। ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক রাজদৌলা রাফি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, কোভিড১৯ রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে এই ওষুধ কার্যকরী নয়। যারা সুস্থ হবে তাদের শুধু চারদিন হাসপাতালে কম থাকতে হবে। পার্থক্যটা এখানেই বলে উল্লেখ করেন মি: রাফি। তিনি বলেন, \"চীনের সেই গবেষণা ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এ ওষুধ কার্যকরী না।\" এরপর যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়ার্ড সায়েন্স আরেকটা ইনফিউশন তৈরি করে। এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করা হয়। এই গবেষণা ১০৬০ জন রোগীর উপর করা হয়। এখানে দুটি ভাগ করা হয়। একটি দলকে রেমডিসিভির দেয়া হয়েছিল, অপর দলটিকে রেমডেসিভির দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, যাদের রেমডেসিভির দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছে। দেখা গেছে, যাদের ১৫ দিনে সুস্থ হবার কথা তারা ১১ দিনে সুস্থ হয়েছে। অন্যদিকে যাদের ক্ষেত্রে রেসডেসিভির দেয়া হয়নি তারা স্বাভাবিকভাবে ১৫ দিনে সুস্থ হয়েছে। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হারে তেমন একটা তারতম্য দেখা যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। \"যারা খুব বেশি সিভিয়ার কন্ডিশনে যাবে, মারা যাবার অবস্থায় যাবে, তাদের ক্ষেত্রে এটা কোন কাজ করবে না,\" বলছিলেন মি: রাফি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি রেমডেসিভির ওষুধ তৈরি করছে তাদের কেউ-কেউ এর পক্ষে জোরালো প্রচারণা করে এমন একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করছে যে রেমডেসিভির ব্যবহার করলেই রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, ��কটি ওষুধ কতটা কার্যকরী সেটা বোঝার জন্য যেসব বৈজ্ঞানিক ধাপ পার করতে হয়, রেমডেসিভির-এর ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। এ ধাপগুলো হচ্ছে: ১. প্রথমত ওষুধটাকে চিহ্নিত করা ২. ওষুধটা কার্যকর কি না সেটা দেখা। এজন্য প্রাণীর উপর গবেষণা করা হয়। ৩. বাজারে অন্যান্য ওষুধগুলোর সাথে কার্যকারিতা তুলনা করা ৪. ওষুধটির কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া আছে কি না সেটি দেখা। মি: বেন্নুর বলেন, উপরিউক্ত কাজগুলো করতে অন্তত ১৬ মাস সময়ের প্রয়োজন। \"কিন্তু বর্তমানে এমন একটা জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, এই ওষুধটাকে (রেমডেসিভির) দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ পরীক্ষার পরেই আপাতত একটা অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দেয়া হয়েছে,\" বলছিলেন মি: বেন্নুর। \"এটা ব্যবহার করলেই যে কোভিড১৯ সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবে, এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আমার অন্তত জানা নেই।\" রেমডেসিভিরকে এমারজেন্সি অনুমোদন দেবার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাশে গিলিয়ার্ড সায়েন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল ও'ডে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রেমডেসিভির সম্পর্কে মানুষকে সঠিক তথ্য দেয়াটা খুব জরুরি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক রাজদৌলা রাফি বলেন, আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন রেমডেসিভিরকে এমারজেন্সি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, এ ওষুধের উপর মানুষ পুরোপুরি নির্ভর করে বেশি আশাবাদী হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। \"আমরা যদি মানুষকে ফলস হোপ (মিথ্যা আশা) দেই, মানুষকে যদি বলি যে করোনার বিপক্ষে রেমডেসিভির একমাত্র ওষুধ, তাহলে মানুষ আসলে ভুল পথে ধাবিত হবে,\" বলেন মি: রাফি। \"আমাদের দেশে মানুষের এমনিতেই সচেতনতা কম। এটার মাধ্যমে যদি আমারা একটা ফলস হোপ দেই, তাহলে মানুষকে আর ঘরে আটকে রাখা যাবে না। \" তিনি বলেন, রেমডেসিভির সম্পর্কে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, বিষয়টা ততটা কার্যকরী না। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি রেমডেসিভির প্রস্তুত করছে তারা অবশ্য দাবি করছে, করোনাভাইরাসের বিপক্ষে এই ওষুধ এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং এটিই একমাত্র ওষুধ হিসেবে এফডিএ কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো বলছে, এই ওষুধ ভাইরাসের বিপক্ষে লড়াই করে এবং ভাইরাস ধ্বংস করে। তবে কোন ওষুধই শতভাগ কার্যকর নয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি অন্য জটিল রোগ রোগ থাকে রোগী হয়তো এ ওষুধে নাও সেরে উঠতে পারে।", "doc2": "Le vaccin Johnson & Johnson ne nécessite qu'une seule dose. La principale particularité de ce vaccin est que, contrairement aux autres déjà utilisés, il fonctionne avec une seule dose. Maureen Ferran, virologue à l'Université de Rochester, explique comment fonctionne ce vaccin, le troisième autorisé par la FDA, et en quoi il diffère de ceux fabriqués par Pfizer-BioNTech et Moderna. 1. Comment fonctionne le vaccin Johnson & Johnson ? C'est un vaccin à vecteur viral. Contrairement aux autres déjà utilisés, ce vaccin fonctionne avec une seule dose. Pour le créer, l'équipe Johnson & Johnson a pris un adénovirus inoffensif - le vecteur viral - et a remplacé une petite partie de sa composante génétique par des gènes pour les protéines de pointe (les parties externes du virus qui ressemblent à une couronne) du SRAS-CoV . 2, le virus qui produit le covid-19. A lire aussi : Cet adénovirus modifié est ensuite injecté dans le bras du patient et pénètre dans ses cellules. Les cellules lisent ensuite les instructions génétiques nécessaires pour fabriquer les protéines de pointe. Les cellules vaccinées produisent et affichent ces protéines de pointe sur leur propre surface. Le système immunitaire de la personne remarque ces protéines étrangères et commence à créer des anticorps, qui protégeront la personne si elle est exposée au vrai virus à l'avenir. L'une des principales caractéristiques du vaccin est qu'il n'a pas besoin de congélateurs pour être stocké. Le vaccin à vecteur viral adénovirus est sûr car l'adénovirus ne peut pas se répliquer dans les cellules humaines ou provoquer une maladie, tandis que la protéine de pointe du SRAS-CoV-2 ne peut pas provoquer le covid-19 sans le reste du coronavirus. Ce genre de stratégie n'est pas nouveau. Johnson & Johnson a utilisé une méthode similaire pour produire le vaccin Ebola. En effet, le vaccin développé par l'Université d'Oxford et le laboratoire Astra-Zeneca utilise un vecteur viral adénovirus. 2. Est-il efficace ? L'analyse de la FDA a révélé que le vaccin de Johnson & Johnson est efficace à 72 % dans la prévention de l'infection dans toutes les variantes du COVID-19 et à 86 % dans la prévention des cas graves de la maladie. Bien qu'une personne vaccinée puisse être infectée, les données suggèrent que le vaccin réduit le risque de nécessiter une hospitalisation ou de mourir de la maladie. Une analyse similaire a été menée en Afrique du Sud, où une variante beaucoup plus contagieuse est dominante, et a donné des résultats similaires. Les chercheurs ont noté que le vaccin de Johnson & Johnson était légèrement moins efficace pour prévenir les maladies là-bas - 64 % - mais toujours 82 % efficace pour prévenir les maladies graves. Les essais cliniques ont été menés en tenant compte des variantes du virus apparues, par exemple, en Afrique du Sud. La FDA a également signalé que ce vaccin protège contre d'autres variantes, telles que celles connues au Royaume-Uni et au Brésil. 3. En quoi diffère-t-il des autres vaccins ? La principale différence est que Johnson & Johnson est un vaccin à vecteur viral adénovirus, tandis que Moderna et Pfizer sont de type ARNm. Les vaccins à ARNm, ou à ARN messager, utilisent les instructions génétiques du coronavirus pour dire aux cellules des personnes vaccinées de produire les protéines de pointe, plutôt que d'utiliser un autre virus comme vecteur. Et il y a d'autres différences, d'un point de vue pratique. Les vaccins Moderna et Pfizer reposent tous deux sur l'administration de deux doses, séparées de plusieurs semaines. Le vaccin Johnson & Johnson n'en a besoin que d'une. Ceci est essentiel lorsqu'il n'y en a pas suffisamment. De plus, le vaccin de Johnson & Johnson ne nécessite pas de congélateurs pour le stockage, contrairement aux ARNm qui nécessitent une chaîne du froid complexe pour être distribués en toute sécurité. Le vaccin Johnson & Johnson peut être conservé pendant trois mois dans un réfrigérateur ordinaire, ce qui le rend facile à utiliser et à distribuer. En ce qui concerne leur efficacité, il est difficile de comparer les vaccins de Moderna, Pfizer et Johnson & Johnson en raison de la différence dans la conception des essais cliniques. Alors que Moderna et Pfizer ont confirmé une efficacité de 95 % dans la prévention de la maladie, des essais cliniques ont été menés vers la mi-2020, avant que de nouvelles variantes du virus n'apparaissent et soient largement diffusées. Il est fort possible que les vaccins Moderna et Pfizer ne soient pas aussi efficaces contre les nouvelles variantes, alors que les essais cliniques Johnson & Johnson ont été réalisés plus récemment et ont pris en compte l'efficacité contre ces nouvelles variantes. Le vaccin Johnson & Johnson contribue à l'effort de vaccination dans le monde entier. 4. Est-il recommandé de choisir un vaccin plutôt qu'un autre ? Bien que l'efficacité globale des vaccins Moderna et Pfizer soit supérieure à celle de Johnson & Johnson, il n'est pas recommandé d'attendre que le vaccin souhaité soit disponible. En partie parce que cela n'arrivera probablement pas avant longtemps, étant donné les problèmes de demande et d'offre. Le vaccin Johnson & Johnson est presque aussi efficace que les vaccins à ARNm pour prévenir les cas graves, et c'est ce qui compte vraiment. Les vaccins de Johnson & Johnson et d'autres vecteurs viraux, tels que celui d'Astra-Zeneca, sont particulièrement importants pour l'effort mondial de vaccination. Du point de vue de la santé publique, avoir plusieurs vaccins contre le Covid-19 est important, donc Johnson & Johnson est très bienvenu dans le cadre de cet arsenal pandémique. Le vaccin de Johnson & Johnson devrait atteindre les pays qui en ont le plus besoin pendant la pandémie. Et il ne nécessite pas de congélateur, ce qui facilite grandement l'expédition et le stockage. Il s'agit d'un vaccin à injection unique, ce qui facilite la logistique par rapport à l'organisation requise pour administrer deux doses par personne. Dans le but de vacciner le plus de personnes possible, le plus rapidement possible, pour limiter le développement de nouvelles variantes du coronavirus, Johnson & Johnson devrait expédier bientôt près de quatre millions de doses aux États-Unis, dès que la FDA aura autorisé son utilisation d'urgence. Avoir un troisième vaccin homologué aux États-Unis est un grand pas en avant pour répondre à la demande de vaccination et freiner la pandémie. Maureen Ferran est professeur de biologie au Rochester Institute of Technology."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49906726", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/40354747", "doc1": "মোহাম্মদ বিন সালমান কিন্তু একই সাথে যুবরাজ মোহাম্মদ - যাকে আরো ডাকা হয় এমবিএস নামে - সৌদি আরবকে টেনে এনেছেন ইয়েমেনের যুদ্ধে। তিনি কারারুদ্ধ করেছেন নারী অধিকারের জন্য আন্দোলনকারীদের, এমনকি ধর্মীয় নেতা এবং ব্লগারদেরও। শুধু তাই নয়, এক বছর আগে তার সমালোচক জামাল খাসোগজিকে যেভাবে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় - তার পেছনেও তিনি ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়। এতসব আলোচনা-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই এমবিএস লোকটি আসলে কেমন? মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পর্কে এক দীর্ঘ প্রতিবেদন লিখেছেন বিবিসির ফ্র্যাংক গার্ডনার, সেখানে তিনি বর্ণনা করছেন তার সাথে প্রথম সাক্ষাতের কথা। বলে রাখা দরকার, ফ্র্যাংক গার্ডনার ২০০৪ সালে যখন রিয়াদে একদল বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তখন সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ ছিলেন রিয়াদের গভর্নর। বন্দুকধারীদের গুলিতে আইরিশ ক্যামেরাম্যান সাইমন কাম্বার্স নিহত হন। তারা ফ্র্যাংক গার্ডনারের পায়ে ৬টি গুলি করে এবং তাকে মৃত ভেবে চলে যায়। রিয়াদের গভর্নর যুবরাজ সালমান বিন আবদুলআজিজ সেসময় হাসপাতালে ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা আহত ফ্র্যাংক গার্ডনারকে দেখতে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে এই সালমান বিন আবদুলআজিজ যখন সৌদি আরবের যুবরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তখন তার সাথে জেদ্দায় প্রাসাদে সাক্ষাৎ হয় ফ্র্যাংক গার্ডনারের। তার স্বাস্থ্য তখনই বেশ ভেঙে পড়েছে, হাতে ছিল লাঠি। তিনি বলছিলেন, লন্ডন শহর তার কত প্রিয়। ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন, তার আবছাভাবে মনে পড়ে ওই কক্ষেই তার পেছনে বসা ছিলেন একজন যুবক, যে কথাবার্তা হচ্ছিল তার নোট নিচ্ছিলেন তিনি। গাড়ি চালাচ্ছেন একজন সৌদি নারী হয়তো যুবরাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি হবেন ইনি - ভেবেছিলেন ফ্র্যাংক গার্ডনার। তিনি দেখলেন যুবকটি দীর্ঘকায়, পরিচ্ছন্নভাবে ছাঁটা দাড়ি, এবং ঐতিহ্যবাহী সৌদি আলখাল্লা পরা, তাতে সোনার এমব্রয়ডারি - যা তার উচ্চ অবস্থান নির্দেশ করে। বৈঠক শেষ হবার পর ফ্র্যাংক গার্ডনার নিজেই তার সাথে পরিচিত হতে চাইলেন। তারা হাত মেলালেন। যুবকটি বললেন,\"আমি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, একজন আইনজীবী। আপনি এতক্ষণ আমার পিতার সাথে কথা বলছিলেন।\" ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন: \"আমার কোন ধারণাই ছিল না যে ২৮ বছরের এই মৃদুভাষী যুবকটিই কিছুকাল পরে আরব বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং বিতর্কিত নেতাদের একজন হয়ে উঠবেন।\" রাতের পার্টিতে অভাবনীয় সব দৃশ্য রাজধানী রিয়াদের উপকণ্ঠে দিরিয়ায় ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি একটি রাত। একটি মিলনায়তন। এখানে রিয়াদের ফরমূলা ই কার রেসিংএর উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা পোশাক পরা বিপুল সংখ্যক সৌদি তরুণ-তরুণীর ভিড় জমেছে। মঞ্চের ওপর ঝিলিক দিচ্ছে লেজার আর আলোর খেলা। অনেক তরুণ-তরুণী তাদের স্মার্টফোন উঁচিয়ে ধরে ছবি তুলছে। এরা সবাই এসেছেন তাদের অত্যন্ত ব্যয়বহুল মডেলের স্পোর্টস কার নিয়ে। তাদের অনেকেই মেয়ে, এবং তারা সৌদি যুবরাজ সালমানের দেয়া গাড়ি চালানোর অধিকারের পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছেন। এ অনুষ্ঠানে ডিজে হচ্ছেন একজন ফরাসী ডেভিড গোয়েটা। এখানে গান গাইবেন এনরিক ইগ্লেসিয়াস আর 'ব্ল্যাক আইড পিজ'। এই হচ্ছে নতুন সৌদি আরব। কঠোর শুকনো সংস্কৃতি বিদায় নিয়েছে, বিনোদন নিয়েছে তার জায়গা। যুবরাজ-নির্দেশিত আধুনিকায়ন পুরোদমে চলছে। সৌদি আরবে এমবিএস এখনো জনপ্রিয় যারা গত ৪০ বছর ধরে সৌদি আরবকে দেখছেন - তাদের কাছে এই পরিবর্তনকে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। পার্টি, অবাধ মেলামেশা সৌদি আরবে একটি পার্টিতে নারীপুরুষের এরকম অবাধ মেলামেশা মাত্র কিছুকাল আগেও ছিল অচিন্তনীয়। রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা এবং মুতাওয়া নামে ধর্মীয় পুলিশের কড়া নজরদারিতে এগুলো ছিল নিষিদ্ধ। মুতাওয়া পুলিশ প্রায়ই রিয়াদের শিশা ক্যাফে বন্ধ করে দিতো, ইসলামী শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী দোকানপাটে গান-বাজনা বাজানো বন্ধ করার নির্দেশ দিতো। অনেক বছর ধরেই সেখানে সিনেমা, মেয়েদের গাড়ি চালানো, প্রকাশ্য বিনোদন বন্ধ ছিল। বাদশাহের অনুমতি নিয়ে মোহাম্মদ বিন-সালমান সৌদি আরবের এই ইমেজ পাল্টে দিতে শুরু করেছেন। অনেকের ভাষায় 'মডারেট ইসলামের' নীতি নিয়েছেন এমবিএস এবং তিনি প্রকাশ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছেন, এমনটি কপ্টিক খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি মিলেছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ৩৪ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ বিন সালমানের জনপ্রিয়তাও হু হু করে বেড়েছে। একজন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীর কথায়, যুবরাজ নিজেও হটডগের মতো ফাস্টফুড, ডায়েট কোক এসব পছন্দ করেন। তিনি 'কল অব ডিউটি' নামের কম্পিউটার গেম খেলতেন। তিনি একজন প্রযুক্তি-ভক্ত। অল্পবয়েসী সৌদি মেয়েরা তার সাথে সেলফি তুলতে চাইলেও তিনি বাধা দেন নি। বিরোধিতা বরদাস্ত করেন না এমবিএস অনেকেই বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী । তবে তার ব্যক্তিত্বের মধ্যে অশুভ কিছু একটার ইঙ্গিতও আছে। সহজ কথায় তিনি বিরোধিতা বরদাস্ত করতে পারেন না। ব্লগার, ধর্মীয় নেতা, নারী অধিকারকর্মী - তিনি রক্ষণশীল বা উদারপন্থী যাই হোন না কেন - যুবরাজের বিরোধিতা করলেই গ্রেফতার হয়েছেন। এমবিএস মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়েছেন, আবার তিনিই গাড়ি চালানো বা অন্য কোন দাবিতে আন্দোলনকারী নারীদের আটক করেছেন। নারী অধিকার-কর্মীদের অনেকেই বন্দী অবস্থায় যৌন নিপীড়নসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন - তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। এদের অনেকেই ছাড়া পাবার পর বিদেশে অবস্থান করছেন। জামাল খাসোগজি ওয়ালিদ আল হাথলুল নামের একজন নারী অধিকার কর্মী বলেছেন, তাকে বন্দী অবস্থায় এমবিএসের উপদেষ্টা সাউদ আল-কাহতানি স্বয়ং নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয় পুরুষ ভিন্নমতাবলম্বীরাও একইভাবে আটক ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই বলেছেন, তিনি স্বীকার করেন যে সৌদি আরবে অনেক লোক কারাবন্দী আছেন, কিন্তু একটি দেশে এত ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার চালাতে গেলে ক��ছু মূল্য দিতেই হবে। কিভাবে এত ক্ষমতাশালী হলেন এমবিএস? মোহাম্মদ বিন সালমান ছিলেন বাদশাহের ১৩ জন পুত্রের একজন। সৌদি আরবে আনুমানিক প্রায় ৫ হাজার যুবরাজের মতো তারও প্রাথমিক জীবন কেটেছে অভাবনীয় আরাম-আয়েশ আর বিলাসিতার মধ্যে। রিয়াদের মাদহার এলাকায় প্রাসাদে বড় হন তিনি। তার চারপাশে থাকতো ভৃত্য, রাঁধুনি, ড্রাইভার এবং অন্য কর্মচারীর দল, অনেকেই অন্য দেশ থেকে আসা। তার গৃহশিক্ষকদের একজন রশিদ সেক্কাই বলেছেন, তাকে প্রতিদিন একজন ড্রাইভার এসে বাড়ি থেকে প্রাসাদে নিয়ে যেতো। কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে অন্য যুবরাজদের মতো ব্রিটেনে বা আমেরিকায় না গিয়ে কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। এটা অনেকের মতে তার জন্য ভালো এবং খারাপ দুইই হয়েছে। এতে তিনি ঐতিহ্যানুগ 'দেশের ছেলে' হয়ে বেড়ে উঠেছেন, আবার অন্য দিকে অন্যান্য প্রিন্সদের মতো পশ্চিমা মানসিকতা সম্পর্কে গভীর বোধ অর্জন করতে পারেন নি। অনেক দিন পর্যন্ত তিনি ভালো ইংরেজিও বলতে পারতেন না। একজন মাত্র স্ত্রী সৌদি আরবে একজন পুরুষের চারজন পর্যন্ত স্ত্রী থাকার অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমানে স্ত্রী মাত্র একজন। তিনি তার সম্পর্কীয় বোন প্রিন্সেস সারা বিনতে মাশুর বিন আবদুলআজিজ আল সউদকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুই ছেলে, দুই মেয়ে। তার নিজ পরিবারকে এমবিএস একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে রেখেছেন। ক্ষমতায় তার উত্থানও নাটকীয় তার পিতা তাকে ধীরে ধীরে ক্ষমতার জন্য তৈরি করেছেন, দেখিয়েছেন রিয়াদের গভর্নর হিসেবে কিভাবে বিবাদ মেটাতে হয়, সমঝোতা করতে হয়, সৌদি শাসনকাজ চালানোর কৌশল কী। এর পর পদোন্নতি পেতে পেতে তিনি হন একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আর ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তার পিতা সালমান ৮০ বছর বয়েসে বাদশাহ হবার পরই তিনি এমবিএসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রাজসভার মহাসচিব নিয়োগ করেন। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের বিমান হামলা এ সময় এমবিএসের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পরিচালনা - যা এখন এক রক্তাক্ত দীর্ঘ সংঘাতে পরিণত হয়েছে। এর আসল লক্ষ্য ছিল ইয়েমেনে সৌদি সমর্থক সরকারকে ক্ষমতায় রাখা, এবং হুতিদের পেছনে সমর্থনদাতা ইরানকে একটা শক্ত বার্তা দেয়া। সে লক্ষ্য পূরণে অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। বরং ইয়েমেন এখন ব���শ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এর পর ২০১৭ সালে এক রক্তপাতহীন প্রাসাদ অভ্যুত্থান ঘটে যায়। বাদশাহ সালমান তখনকার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেকে পাঠান এবং তাকে বলা হয় পদত্যাগ করতে - নতুন যুবরাজ হন মোহাম্মদ বিন সালমান। মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন আমেরিকানদের আস্থাভাজন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সন্ত্রাসদমনের প্রধান হিসেবে আল-কায়দার বিদ্রোহী তৎপরতা দমনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: 'পাথর লাগলো কপালে, জখম অবস্থায় বাসায় আসলাম' গান্ধী: বিদ্রোহী কিশোর থেকে 'ভারতের জাতির জনক' ফারাক্কা: যে ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগি করে ভারত-বাংলাদেশ যে কারণে নোয়াখালী এসেছিলেন মোহনদাস গান্ধী তবে ২০০৯ সালে আল-কায়েদার এক হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেও তিনি পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেন নি বলে শোনা যায়। সৌদি আরবে রাজার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত, চূড়ান্ত। তাই তিনি যখন এমবিএসকে যুবরাজ অর্থাৎ তার উত্তরাধিকারী বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন মোহাম্মদ বিন নায়েফের মঞ্চ থেকে সম্পূর্ণ বিদায় নেয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকলো না। এমবিএস ক্ষমতা সংহত করলেন যেভাবে এর পর এমবিএস যা করলেন তা সারা দুনিয়ার আলোচিত বিষয়ে পরিণত হলো। তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে ২০০ জন প্রিন্স, ব্যবসায়ী এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ লোককে গ্রেফতার করে কোন অভিযোগ ছাড়াই তাদের রিয়াদের রিৎজ কার্লটন হোটেলে আটকে রাখলেন । একে বলা হলো দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, আটকদের বলা হলো মুক্তি পেতে হলে তাদের শত শত কোটি রিয়ালের দুর্নীতিলব্ধ অর্থ রাজকোষে দিতে হবে। সমালোচকরা বলেন, এটা আসলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ছিল না - এটা ছিল এমবিএসকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন এমন যে কাউকে নিষ্ক্রিয় করা। বাদশা আবদুল্লাহর দিকে রাজপরিবারের যে শাখা - সেখানকার প্রিন্সদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হলো। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সশস্ত্রবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল গার্ড - তিন সংস্থারই নিয়ন্ত্রণ আনা হলো এমবিএসের হাতে। তার হাতে তখন সর্বৈব ক্ষমতা। রিয়াদের রিৎজ কার্লটন হোটেল জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ড ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের বিমান হামলায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে, শত শত লোক বন্দী হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অনেকের সমর্থন সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে চলে যায় একজন সাংবা���িকের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। জামাল খাসোগজি ছিলেন একজন সুপরিচিত লেখক এবং এমবিএসের কড়া সমালোচক। গত বছর ২রা অক্টোবর দুপুর বেলা তিনি তার বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তুাম্বুলের লেভেন্ট এলাকায় সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকেছিলেন। ঢোকার কিছু পরই রিয়াদ থেকে পাঠানো একদল নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা এজেন্ট তাকে হত্যা করে, তার মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে কোথাও নিয়ে যায় - যার কোন হদিশই পাওয়া যায় নি। যদিও সরকারিভাবে সৌদি আরব তা অস্বীকার করেছে, কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে যে মি. খাসোগজির মুখ বন্ধ করার এই অপারেশনের ব্যাপারে এমবিএস অন্তত আগে থেকেই জানতেন। সিআইএ মনে করে - তিনিই হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বর মাসে এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ এ ঘটনার 'দায়িত্ব' নিয়েছেন কিন্তু তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনার পেছনে একজন মূল সন্দেহভাজন হচ্ছেন এমবিএসের ঘনিষ্ঠতম উপদেষ্টাদের একজন সাউদ আল-কাহতানি। খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পরপরই বাদশাহ সালমানের আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বলা হয়, এমবিএসের নীতির কেউ বিরোধিতা করলে - তাদের ওপর নানাভাবে সাইবার নজরদারি ও হুমকির কার্যক্রমের পেছনে ছিলেন এই আল-কাহতানি। জামাল খাসোগজিও জানতেন, তিনি বিপদে আছেন। খাসোগজি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ হয়েছে বিভিন্ন দেশে খাসোগজি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী সাংবাদিক। তিনি কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে, সমালোচনা করতেন এমবিএসের স্বৈরাচারী স্টাইলের। তার টুইটার ফলোয়ার ছিলেন ১৬ লক্ষ। খাসোগজি এবং অন্য কয়েকজন মিলে একটি আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা করছিলেন -আরব বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। ফলে এমবিএস এবং তার উপদেষ্টাদের জন্য তার হুমকি হয়ে ওঠারই কথা, যদিও যুবরাজ তা অস্বীকার করেন। এর আগে সৌদি প্রশাসন 'বিপথগামী' নাগরিক বা যুবরাজদের বিদেশ থেকে অপহরণ করে রিয়াদে নিয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হত্যা নয়। বিদেশের একটি শহরে এরকম একটি হত্যাকাণ্ড আগেকার ঘটনাবলীর সাথে মেলে না। ফলে খাসোগজি হত্যাকাণ্ড হয়ে দাঁড়ায় এক আন্তর্জাতিক কেলেংকারি। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে তুরস্কের গোয়েন্দারা গোপন মাইক বসিয়েছিল। হত্যাকান্ডের টেপ সিআইএ এবং অন্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা শুনেছে। কিন্তু জ���মাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের সাথে এমবিএসের সংশ্লিষ্টতার কোন অকাট্য প্রমাণ এখনো কারো হাতে নেই। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে যে এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটা 'রোগ অপারেশন' অর্থাৎ কিছু অসৎ-নীতিহীন কর্মকর্তার কাজ। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোতে অনেক বছর থাকার ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, এ অঞ্চলে 'রোগ অপারেশন' বলে কিছু নেই। ওপরের নির্দেশ ছাড়া সেখানে কোন কাজই হয় না। আল-কাহতানি নিজেই ২০১৮ সালে আগস্ট মাসে এক অর্থপূর্ণ টুইটে বলেন, 'আমি বাদশাহ এবং যুবরাজের একজন কর্মচারী, তাদেরই আদেশ পালন করি। এই খুনের সাথে বাদশাহর সম্পর্কের আভাস কেউ দেয় নি। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাদশাহর প্রিয় পুত্রের ঘনিষ্ঠ চক্রের মধ্যেই হয়েছিল বলে মনে করা হয়। একজন সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এমবিএস ব্যাপারটা জানতেন না এটা কল্পনাই করা যায় না। তাহলে আল-কাহতানি কোথায় আছেন? রিয়াদে এবং লন্ডনে নানা জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আল-কাহতানি এখন অন্তরালে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হন নি, এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নানা প্রকল্পে তিনি জড়িত আছেন। সাউদ আল কাহতানি এ ঘটনায় ১১ জনের বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ অভিযুক্ত হলেন কিনা বা বিচার কতদিন চলবে, এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানা যায় না। এই বিচারের ফল যাই হোক একটা কথা ঠিক যে খাসোগজি হত্যাকাণ্ড সৌদি আরব এবং এমবিএসের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এমবিএসের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি আগে পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএসকে এক দূরদর্শী সংস্কারক নেতা হিসেবে যেভাবে তুলে ধরা হতো - তার পরিবর্তে এখন তাকে অন্তত প্রকাশ্যে অনেকটা এড়িয়ে চলা হচ্ছে। একজন ভাষ্যকার বলছেন, খাসোগজি হত্যাকাণ্ড সৌদি আরবকে 'ঘাতকদের ক্লাবে' তালিকাভুক্ত করেছে, যেন এমবিএস আর গাদ্দাফি, সাদ্দাম বা আসাদ একই শ্রেণীর ব্যক্তি। কিন্তু সৌদি আরব কখনো এই ক্লাবের অংশ ছিল না। এ ঘটনার পর মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের যুক্তি দেখিয়ে তা আটকে দিয়েছেন। গণতন্ত্রী ননমোহাম্মদ বিন সালমান মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি আধিপত্যের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরব কৌশলগতভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তা ছাড়া এদেশের বিরাট বাজার এবং এখানে ব্যবসার সুযোগ খুবই লোভনীয় পশ্চ��মা কোম্পানিগুলোর জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে এমবিএস এমবিএস সৌদি আরবে নিওম নামে লোহিত সাগরের তীরে যে নতুন বিনিয়োগ নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন তা কতখানি সফল হবে তা নিয়ে অনেকের সংশয় আছে। তবে সৌদি আরবের ভেতরে যুবরাজ সালমান এখনো খুবই জনপ্রিয়। একজন ভাষ্যকার বলছেন, '১৬ থেকে ২৫ বছরের সৌদিরা তাকে একজন হিরো বলে মনে করে যিনি দেশে পরিবর্তন এনেছেন, ধর্মীয় মৌলবাদীদের ক্ষমতা খর্ব করেছেন।' এমবিএস সৌদি আরবে গণতন্ত্র নিয়ে আসবেন, এমন কোন লক্ষণ কোথাও নেই। তার ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, খাসোগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে ঝড় উঠেছে তা একসময় ঝিমিয়ে পড়বে। হয়তো তাদের ধারণাই ঠিক। এক দিক থেকে বলা যায়, এমবিএস-ই সৌদি আরব, তিনি কোন গণতন্ত্রী নন, কোন রাজনৈতিক সংস্কারকও নন - অনেকের চোখে তিনি একজন একনায়ক মাত্র। তবে এটাও ঠিক যে তিনি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক আধুনিকায়ন করছেন। তা ছাড়া তার বয়েস মাত্র ৩৪ - তাই তিনি যখন বাদশাহ হবেন, তখন তিনি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এই দেশকে ৫০ বছর ধরে শাসন করবেন। আরো পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের হানিমুনের দিন শেষ? কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিক সৌদি প্রিন্স?", "doc2": "Le jeune homme de 31 ans est devenu l'homme fort du pays après l'arrivée de son père au pouvoir en janvier 2015 et sa nomination comme ministre de la Défense. Selon un décret royal, le souverain a évincé son neveu le prince héritier Mohammed ben Nayef, pour le remplacer par son fils âgé de 31 ans. Il a ainsi ouvert la voie à la deuxième génération de la dynastie Al-Saoud pour accéder au trône de la monarchie première puissance pétrolière mondiale. Ce choix intervient dans un contexte de crise ouverte avec le Qatar et d'enlisement de la guerre au Yémen. Le jeune homme de 31 ans est devenu l'homme fort du pays après l'arrivée de son père au pouvoir en janvier 2015 et sa nomination comme ministre de la Défense. LIRE AUSSI Qatar: les bons offices du Maroc Arabie Saoudite: \"une taxe du pêché\" Arabie Saoudite: cinq cents Ghanéens expulsés La Bourse saoudienne a salué la nomination en bondissant de plus de 4% à l'ouverture Selon le décret royal, il devient également vice-Premier ministre. La Bourse saoudienne a salué la nomination en bondissant de plus de 4% à l'ouverture, et l'émir du Koweït, cheikh Sabah al-Ahmad Al-Sabah, a été le premier dirigeant étranger à féliciter le nouveau prince héritier. Le très influent comité des grands oulémas saoudien a salué, pour sa part, un \"bon choix\" du roi Salmane."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52310694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51878954", "doc1": "বিশ্বে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মারা যাবার খবর আসছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখুন এই মানচিত্রে: এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে, চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ব্যাখ্য��� করা হলেও এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। দেশভিত্তিক তথ্য দেখুন নিচের তালিকায়। পূর্ণাঙ্গ তালিকায় রয়েছে প্রত্যেক দেশের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন", "doc2": "Mais qu'est-ce qu'une pandémie exactement ? Quelles sont celles qui ont précédé le nouveau coronavirus et quelle a été leur dangerosité ? Les réponses dans cette vidéo. Lire plus sur le Coronavirus:"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52835251", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53148783", "doc1": "জর্জ ফ্লয়েড যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আটক করেছিল তাদের বারবার বলে যে সে নি:শ্বাস নিতে পারছে না মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েড। ২৫শে মে তারিখ সন্ধ্যায় সন্দেহভাজন একটি প্রতারণার ব্যাপারে কল পেয়ে পুলিশ তাকে ধরে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় জর্জ ফ্লয়েড নি:শ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছেন, \"আমি নি:শ্বাস নিতে পারছি না\"। এই ঘটনা যেদিন ঘটে সেইদিনই আর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেটি ছিল নিউইয়র্কে এক শ্বেতাঙ্গ নারীর পোষা কুকুর নিয়ে তুচ্ছ একটা বিতর্কের জেরে পুলিশ ডাকার এবং এর জন্য পুলিশের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ওপর চড়াও হবার ঘটনার। পুলিশের গুলিতে ২০১৯ সালে মারা গেছে এক হাজারের বেশি মি. ফ্লয়েডের মৃত্যু আমেরিকায় পুলিশের হাতে মৃত্যুর ঘটনার উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ অফিসার কীভাবে তার হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছে ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ১০১৪ জন এবং বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকা��ি সংস্থার চালানো জরিপে দাবি করা হয়েছে যে আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা। দেশটিতে পুলিশি নির্মমতার প্রতিক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছে # BlackLivesMatter (কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনওমূল্যবান) নামের আন্দোলন। গায়ক বিয়োন্সে, বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমসের মত তারকারা এই আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। আমেরিকায় পুলিশের নৃশংস আচরণে মৃত্যুর যেসব ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে তার কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হল: ট্রেইভন মার্টিন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০১২ ট্রেইভন মার্টিনের ছবি ট্রেইভন মার্টিন ছিল ১৭ বছর বয়সী একজন কৃষ্ণাঙ্গ স্কুল ছাত্র। ফ্লোরিডার স্যানফোর্ডে জর্জ জিমারম্যান নামে একজনের গুলিতে সে প্রাণ হারায়। মার্টিন একটি ঘেরা এলাকায় তার আত্মীয়দের সঙ্গে যখন দেখা করতে ঢোকে, তখন ওই এলাকার একজন স্বেচ্ছাসেবক চৌকিদার হিসপ্যানিক জর্জ জিমারম্যান তাকে বাধা দেয়। জুরি ২০১৩ সালে মি. জিমারম্যানকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। আমেরিকান আইনে জিমারম্যান বলতে পেরেছিল যে আত্মরক্ষার স্বার্থে সে গুলি চালিয়েছিল এবং সেটাই এই মামলায় তার পক্ষে যায়। কিন্তু তরুণ ট্রেইভনের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা সবসময় বলে এসেছে জিমারম্যান তাকে খুন করেছে। এই হত্যার ঘটনা থেকেই জন্ম নেয় 'কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান' নামের সামাজিক আন্দোলন। এরিক গার্নার, ১৭ই জুলাই ২০১৪ এরিক গার্নার এরিক গার্নার মারা যান নিউইয়র্কে দম বন্ধ হয়ে। খুচরা সিগারেট অবৈধভাবে বিক্রি করছেন এই সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনার ফুটেজে দেখা যায় মি. গার্নার বারবার কান্নাজড়ানো গলায় আকুতি করছেন, \"আমি নি:শ্বাস নিতে পারছি না\" আর একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ, ড্যানিয়েল পান্টালিওকে দেখা যায় তার হাত দিয়ে গার্নারের গলা টিপে ধরে আছেন এমনভাবে যাতে তিনি দম নিতে না পারেন। দুজনেই মাটিতে ধ্বস্তাধ্বস্তি করছে। ওই রাজ্যের গ্র্যান্ড জুরি রায় দেয় পুলিশ অফিসার পান্টালিও-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আনা হবে না। এ ঘটনার পর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। ঘটনার পাঁচ বছর পর নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস সংক্রমণে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে ট্রাম্পের পোস্ট বিভ্রান্তিমূলক বলে টুইটারের সতর্কবার্তা কীভাবে একশরও বেশি ইহুদির প্রাণ বাঁচান তিন মুসলিম কূটনীতিক মাইকেল ব্রাউন, ৯ই অগাস্ট ২০১৪ মাইকেল ব্রাউন, মিসৌরিতে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনের সঙ্গে ১৮ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনের এক বাদানুবাদের জেরে ওই পুলিশ অফিসারের গুলিতে নিহত হন ব্রাউন। এই ঘটনার পর 'কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান' আন্দোলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সামনে আসে। মিসৌরির ফার্গুসন এলাকার ওই ঘটনার পর সহিংস বিক্ষোভ হয়, যে বিক্ষোভে মারা যায় এক ব্যক্তি, আহত হয় অনেক এবং কয়েকশ লোককে ধরপাকড় করা হয়। ওই বছরই নভেম্বর মাসে জুরি পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেবার পর আবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে এবং উইলসন পুলিশ বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। ওয়াল্টার স্কট, ৪ এপ্রিল ২০১৫ ওয়াল্টার স্কট দক্ষিণ ক্যারোলাইনার নর্থ চালর্সটনের ৫০ বছর বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তি ওয়াল্টার স্কট যখন পুলিশ অফিসার মাইকেল স্ল্যাগারের কাছ থেকে ছুটে পালাচ্ছিলেন তখন তাকে পিঠে তিনবার গুলি করা হয় এবং মারা যান মি. স্কট। মি. স্কটের গাড়ির ব্রেকের একটা আলো ভেঙে গিয়েছিল এবং পুলিশ তার গাড়ি থামিয়েছিল। মি. স্কট তার সন্তানের খোরপোশের অর্থ দিতে দেরি করায় তখন তার নামে পুলিশের একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মি. স্কট গ্রেপ্তার এড়াতে দৌড় দেন। পুলিশ অফিসার স্ল্যাগারের বিশ বছরের কারাদণ্ড হয় ২০১৭ সালে। নর্থ চালর্সটন কর্তৃপক্ষ ওয়াল্টার স্কটের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬৫ লাখ ডলার দেয়। ফ্রেডি গ্রে, ১২ই এপ্রিল ২০১৫ ফ্রেডি গ্রে পুলিশের গুলিতে ওয়াল্টার স্কটের মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে আরেকটি বিতর্কিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পঁচিশ বছর বয়সী ফ্রেড গ্রে-র পকেটে একটি ছুরি পাবার পর অস্ত্র বহন করার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় মি. গ্রে আর্তচিৎকার করছেন। কয়েক ঘন্টা পর তাকে মেরুদণ্ডের গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ পর মি. গ্রে মারা যান। ঘটনার পর ব্যাপক সহিংস প্রতিবাদ হয় যাতে অন্তত বিশজন পুলিশ অফিসার আহত হন। কিন্তু মি. গ্রে-কে গ্রেপ্তার করার সঙ্গে জড়িত ছয়জন পুলিশ অফি���ারের মধ্যে যে তিনজনকে আদালতে হাজির হতে হয়েছিল তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং বাকি তিনজনকে কখনও অভিযুক্তই করা হয়নি। সান্ড্রা ব্ল্যান্ড, ১৩ই জুলাই ২০১৫ সান্ড্রা ব্ল্যান্ড-এর ছবিসহ প্ল্যাকার্ড টেক্সাস রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সদস্য ব্রায়ান এনসিনিয়া ট্রাফিক আইন লংঘনের ছোটখাট এক অভিযোগে ২৮ বছর বয়স্ক সান্ড্রা ব্ল্যান্ডের গাড়ি থামায়। পুলিশ যখন তার দিকে আসছিল সান্ড্রা তখন একটা সিগারেট ধরিয়েছিল। সান্ড্রা সিগারেট নিভিয়ে ফেলতে অস্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। তিনদিন পর কারাগারে আত্মহত্যা করেন সান্ড্রা। সান্ড্রা ব্ল্যান্ড পুলিশের হাতে মারা না গেলেও তার মৃত্যুতে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ হয়। তার ঘটনায় #সেহারনেম নামে আরেকটি জনপ্রিয় আন্দোলন হয়, যে আন্দোলনের মাধ্যমে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা কীভাবে পুলিশি নির্মমতার শিকার হচ্ছেন সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস নেয়া হয়। আতাতিয়ানা জেফারসন, ১৩ই অক্টোবর ২০১৯ আতাতিয়ানা জেফারসন ডালাসের ফোর্থ ওয়ার্থে ২৮ বছর বয়সী আতাতিয়ানা জেফারসনকে তার নিজের শোবার ঘরে গুলি করেন পুলিশ অফিসার অ্যারন ডিন। মিস জেফারসনের সদর দরোজা খোলা আছে একথা জানিয়ে পুলিশকে ফোন করে তার এক প্রতিবেশি এবং পুলিশ অফিসার অ্যারন ডিনকে সেখানে পাঠানো হয়। মি. ডিন তার শোবার ঘরের জানালা দিয়ে তাকে গুলি করে। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। ব্রেওনা টেলর, ১৩ই মার্চ ২০২০ ব্রেওনা টেলর ব্রেওনা ২৬ বছর বয়সী জরুরি চিকিৎসা বিষয়ক একজন প্রকৌশলী ১৩ই মার্চ লুইভিলের কেন্টাকিতে তার ফ্ল্যাটে ঢুকে পুলিশ অফিসাররা তাকে আটবার গুলি করে। তারা ওই বাসায় অবৈধ মাদক আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়েছিল। অনুসন্ধানের জন্য তাদের কাছে পরোয়ানা ছিল। কিন্তু ব্রেওনার ফ্ল্যাটে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। ব্রেওনা টেলরের পরিবারের ধারণা তারা ব্রেওনাকে খুঁজছিল না। কিন্তু তারা খুঁজছিল এমন এক সন্দেহভাজনকে যার সাথে ব্রেওনার কোনই সম্পর্ক ছিল না এবং সেই সন্দেহভাজন তখন পুলিশি হেফাজতেই ছিল। সেই ব্যক্তি কখনই ওই ফ্ল্যাটবাড়ির বাসিন্দা ছিল না। লুইভিলের পুলিশ জানায় এক��ন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তারা পাল্টা গুলি চালায়। ওই গুলিতে একজন পুলিশ আহত হয়েছিল বলে তারা জানায়।", "doc2": "George Floyd a dit à plusieurs reprises aux officiers de police qui l'ont arrêté qu'il ne pouvait pas respirer George Floyd, un homme de 46 ans qui travaillait comme agent de sécurité dans un restaurant de Minneapolis, a été approché par des officiers répondant à un appel pour suspicion de contrefaçon dans la soirée du 25 mai. Une vidéo de 10 minutes tournée par un témoin montre Floyd gémissant et disant à plusieurs reprises \"Je ne peux pas respirer\" à un officier blanc. L'incident s'est produit le jour même où une vidéo est devenue virale, montrant une femme blanche à New York appelant la police pour dénoncer un homme noir à la suite d'une dispute banale au sujet de son chien qu'elle n'avait pas tenu en laisse. Plus de 1000 personnes tuées par balles par la police en 2019 La mort de Floyd met en lumière des statistiques inquiétantes sur les meurtres commis par des policiers en Amérique. Des images montrent un officier de police agenouillé au cou de George Floyd Selon une base de données gérée par le journal Washington Post, 1014 personnes ont été abattues par des officiers de police dans le pays en 2019, et des études montrent que les noirs américains ont été victimes de manière disproportionnée. Une étude de l'ONG Mapping Police Violence affirme que les Noirs ont presque trois fois plus de chances d'être tués par la police que les Blancs. Lire aussi La brutalité policière a inspiré des réactions telles que le mouvement #BlackLivesMatter. Des célébrités comme la chanteuse Beyonce et la star du basketball Lebron James ont soutenu publiquement des campagnes. Voici quelques-unes des nombreuses victimes dont la mort a provoqué des protestations contre les brutalités policières. Trayvon Martin, 26 février 2012 Trayvon Martin, un lycéen noir de 17 ans, a été abattu par George Zimmerman à Sanford, en Floride. Martin rendait visite à des parents dans un lotissement sécurisé lorsqu'il a été confronté à Zimmerman, un bénévole hispanique chargé de la surveillance du quartier. En 2013, un jury a déclaré Zimmerman non coupable - la loi américaine lui permettait de dire qu'il avait tiré sur Trayvon en légitime défense, mais la famille et les amis de l'adolescent ont toujours insisté sur le fait qu'il s'agissait d'un meurtre. Ce meurtre a contribué à déclencher le mouvement social Black Lives Matter. Eric Garner, 17 juillet 2014 Garner est mort par asphyxie à New York après avoir été arrêté parce qu'il était soupçonné de vendre illégalement des cigarettes en vrac. Les images de l'incident montrent Garner criant à plusieurs reprises \"Je ne peux pas respirer\" tandis qu'un policier blanc, Daniel Pantaleo, est vu, son bras enroulé autour du cou de Garner dans une apparente prise d'étranglement alors qu'ils se débattent sur le sol. Un grand jury d'État a refusé de porter plainte contre l'officier Pantaleo, ce qui a déclenché des protestations dans plusieurs villes américaines. Pantaleo a été renvoyé de la police de New York cinq ans après l'événement. Michael Brown, 9 août 2014 Le mouvement Black Lives Matter a gagné en visibilité à l'international après que Michael Brown, un jeune noir de 18 ans, ait été abattu à la suite d'une altercation avec l'agent de police blanc Darren Wilson. L'incident de Ferguson, dans le Missouri, a déclenché de violentes protestations qui se sont soldées par un décès, plusieurs blessés et des centaines d'arrestations. D'autres protestations ont éclaté en novembre de la même année, après qu'un jury ait décidé de ne pas inculper Wilson, qui avait démissionné des forces de police. Walter Scott, 4 avril 2015 Walter Scott, un homme noir de 50 ans, a reçu trois balles dans le dos alors qu'il fuyait l'officier de police Michael Slagger à North Charleston, en Caroline du Sud. L'officier avait arrêté la voiture de Scott à cause d'un feu cassé. À l'époque, Scott faisait l'objet d'un mandat d'arrêt pour retard de paiement d'une pension alimentaire. Slagger a été condamné à 20 ans de prison en 2017, tandis que la famille de Scott a obtenu des autorités de North Charleston un dédommagement de 6,5 millions de dollars. Sur le même sujet Freddie Gray, 12 avril 2015 À peine une semaine après la fusillade de Walter Scott, une autre affaire controversée a eu lieu à Baltimore, dans le Maryland. Fred Gray, 25 ans, a été arrêté pour port d'arme après que des policiers aient trouvé un couteau dans sa poche. Une vidéo filmée par un témoin montre Gray criant alors qu'il est transporté vers un fourgon de police. Quelques heures plus tard, il est admis à l'hôpital pour une grave blessure à la colonne vertébrale. Il est mort une semaine plus tard et de violentes protestations se sont terminées avec au moins 20 officiers blessés. Trois des six officiers impliqués dans son arrestation ont été par la suite reconnus non coupables de sa mort - les trois autres n'ont jamais été jugés. Sandra Bland, 13 juillet 2015 Bland, 28 ans, a été arrêté par un policier de l'État du Texas, Brian Encinia, pour une infraction mineure au code de la route. Alors qu'elle était approchée par le policier, elle a allumé une cigarette et a refusé de l'éteindre. Bland a été arrêtée et accusée d'avoir agressé un policier après avoir protesté contre l'opération. Trois jours plus tard, elle s'est suicidée en prison. Bien que Bland n'ait pas été tuée par l'action de la police, sa mort a suscité l'indignation dans toute l'Amérique. Son cas a popularisé #SayHerName, un mouvement social visant à attirer l'attention sur les femmes noires victimes de la brutalité policière. L'histoire de Bland est également devenue le thème d'un documentaire diffusé par la chaîne câblée américaine HBO en 2018. Philando Castille, 6 juillet 2016 Castille a été abattu par l'officier de police Jeronimo Yanez à la suite d'un contrôle routier à Falcon Heights, dans le Minnesota. L'incident a été retransmis en direct par la petite amie de la victime. Bien que Yanez ait été accusé d'homicide involontaire coupable au second degré et de deux chefs d'accusation de décharge dangereuse d'une arme à feu, il a été acquitté par un jury moins d'un an plus tard. Botham Jean, 6 septembre 2018 Jean, 26 ans, a été tué dans son appartement par Amber Guyger, une policière qui n'était pas en service. L'officier a déclaré qu'elle était entrée par erreur dans l'appartement du comptable en pensant que c'était le sien - elle a tiré sur Jean, qui n'était pas armé, croyant qu'il était un cambrioleur. Un an plus tard, Guyger a été condamné à dix ans de prison. Atatiana Jefferson, 13 octobre 2019 Jefferson, une étudiante en médecine de 28 ans, a été abattue dans sa chambre à Forth Worth, Dallas, par l'officier Aaron Dean. Dean avait été envoyé à son adresse après qu'un voisin ait alerté la police sur le fait que la porte d'entrée de Jefferson était ouverte, et il a abattu Jefferson à travers la fenêtre de sa chambre. Il a été accusé de meurtre mais n'a pas encore été jugé. Breonna Taylor, 13 mars 2020 Breonna Taylor, une technicienne médicale d'urgence (EMT) de 26 ans, a reçu huit balles lorsque des officiers sont entrés dans son appartement à Louisville, Kentucky, le 13 mars. Ils exécutaient un mandat de perquisition dans le cadre d'une enquête sur une affaire de drogue, mais aucune drogue n'a été trouvée sur la propriété. La famille de Taylor pense que les agents ne la recherchaient pas, ni son partenaire, mais qu'ils cherchaient plutôt un suspect sans lien de parenté avec elle, déjà en détention et qui ne vivait pas dans l'immeuble. La police de Louisville a déclaré qu'elle avait riposté après qu'un officier ait été blessé par balle lors de l'incident."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54898671", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54961549", "doc1": "এই প্রাণীটি এর মধ্যেই বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই প্রজাতির সদস্য রয়েছে মাত্র ২০০টি। পোপা পর্বতের নামানুসারে বানরটির নামকরণ করা হয়েছে পোপা লাঙ্গুর। তবে এই প্রাণীটি এর মধ্যেই বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই প্রজাতির সদস্য রয়েছে মাত্র ২০০টির মত। লাঙ্গুর হচ্ছে গাছের পাতা খায়, এমন ধরণের বানর, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় যে প্রজাতি দেখা যায়। এই প্রজাতির বানরটির বৈশিষ্ট্য হলো, এদের চোখে চশমাসদৃশ গাঢ় বর্ণের বৃত্তাকার রিং রয়েছে যা আলাদা করে চোখে পড়ে। আর এর গায়ের পশমের বর্ণ ধূসর। জিন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে ১০ লাখ বছর আগে যেসব বানর ছিল বলে গবেষণায় জানা গেছে, তাদের চেয়ে এই পোপা লাঙ্গুর বানরের প্রজাতি আলাদা। আবাসস্থল ক্ষতি এবং শিকারের কারণে বানরের এই প্রজাতিটি বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে রয়ে���ে। আরো পড়তে পারেন: কথা বলতে শুরু করেছে ভারতের ‘বানর-কন্যা’ বানরের সেল্‌ফি নিয়ে আদালতে মামলা হারানো ফোনে বানরের তোলা সেলফি? বানরের কারণে ইন্টারনেটের গতিতে বাঁধা মাউন্ট পোপার নাম অনুসারে এই বানরটির নামকরণ করা হয়েছে পোপা লাঙ্গুর। বুনো বানরের মল-মূত্র থেকে পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই ধারণা করছিলেন যে, মিয়ানমারে বানরের নতুন প্রজাতি রয়েছে। তবে এতদিন ধরে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তারা লন্ডন, লেইডেন, নিউইয়র্ক এবং সিঙ্গাপুরের প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাদুঘরগুলোয় থাকা বানরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে শুরু করেন। মিয়ানমারে প্রথমদিকের অভিযাত্রীরা এসব নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু যেগুলো তেমনভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়নি। সেই নমুনা থেকে পাওয়া ডিএনএ বুনো বানরের সঙ্গে যাচাই করে দেখার পর নতুন এই প্রজাতিটি শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের জঙ্গলে পোপা লাঙ্গুরের এই প্রজাতিটি পাওয়া গেছে। পোপা পর্বতের তীর্থস্থানগুলোর কাছাকাছি অভয়ারণ্যে এদের বেশিরভাগ বসবাস করে। সংরক্ষণবাদী গ্রুপ ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনালের ফ্রাঙ্ক মোমবার্গ বলেছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে এই বিশ্লেষণ বানরটির সুরক্ষায় কাজে আসবে। তিনি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ''সদ্য আবিষ্কৃত পোপা লাঙ্গুর এর মধ্যেই চরম বিপন্ন এবং বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা একটি প্রাণী। সুতরাং তাদের মধ্যে যেগুলো এখনো বেঁচে আছে, সেগুলো রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর নিরাপত্তায় স্থানীয় কমিউনিটির পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের সহায়তাও নিতে হবে।'' এখন এই প্রজাতির ২০০ থেকে ২৫০ প্রাণী বেঁচে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন 'নূর হোসেনের শরীরে শ্লোগান লিখেছিলাম আমি' আমেরিকার নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে যা পেয়েছে বিবিসি মানসিক হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ পোপা মাউন্টের তীর্থস্থানগুলোর কাছাকাছি অভয়ারণ্যে এদের বেশিরভাগ বসবাস করে। মিয়ানমার এক দশক আগে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের কাছে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করার পর নতুন ধরণের সরীসৃপ, উভচর নানা প্রাণীর আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু বানরের নতুন প্রজাতি আ���িষ্কারের ঘটনা বিরল। জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের প্রাইমেট জেনেটিক্স ল্যাবরেটরির ক্রিস্টিয়ানা রোস বলেছেন, আবাসস্থানের ক্ষতি এবং শিকারের কারণে প্রাণীটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ''শিকার একটি বড় সমস্যা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো তাদের আবাসস্থান প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে সেটা কমে যাওয়া, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।'' তিনি বলেছেন। জুলজিক্যাল রিসার্চ জার্নালে এই আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। হারানো মোবাইলে বানরের সেলফি ও ভিডিও", "doc2": "Le singe est connu pour ses yeux blancs Le Popa langur, du nom du mont Popa un volcan éteint de 1518 mètres, est en danger critique d'extinction, avec une population de moins 200. Les langurs sont un groupe de singes mangeurs de feuilles que l'on trouve dans toute l'Asie du Sud-Est. L'animal nouvellement découvert est connu pour ses taches oculaires ressemblant à des lunettes et sa fourrure grisâtre. Il est menacé par la perte de son habitat et par la chasse. Les scientifiques soupçonnent depuis longtemps l'existence d'une nouvelle espèce en Birmanie, sur la base de l'ADN extrait des excréments de singes sauvages, mais il est difficile de le prouver. Lire aussi: Une centaine de ces singes vivent dans une forêt protégée près du Mont Popa Avec très peu d'informations, ils se sont tournés vers des spécimens historiques conservés dans les Musées d'Histoire Naturelle à Londres, Leyde, New York et Singapour. Les premiers explorateurs en Birmanie ont recueilli les spécimens de singes, qui n'avaient jamais été examinés en détail. Les chercheurs ont extrait de l'ADN et mesuré des caractéristiques physiques telles que la longueur de la queue et des oreilles, qu'ils ont comparées à celles des populations sauvages. Cela a permis de découvrir une nouvelle espèce, le Popa langur, que l'on ne trouve que dans des parcelles de forêt au centre du pays. La plupart d'entre eux vivent dans une réserve naturelle sur les pentes du site de pèlerinage sacré du mont Popa. Décrire l'espèce de manière scientifique aidera à sa conservation, a indiqué Frank Momberg de l'ONG Fauna & Flora International. \"Le Popa langur, qui vient d'être décrit, est déjà en danger critique d'extinction. Il est donc absolument essentiel de protéger la population restante et de s'engager avec les communautés locales ainsi qu'avec les acteurs du secteur privé pour préserver son avenir\" note-t-il. Il n'y a que 200 à 250 animaux de la nouvelle espèce, qui vivent en quatre populations isolées. Le singe vit en groupe Depuis une dizaine d'années, la Birmanie s'est ouverte à des collaborations internationales avec des scientifiques, ce qui a permis de découvrir des espèces nouvelles pour la science, notamment des reptiles, des amphibiens. Mais la découverte d'un nouveau primate est rare. Christian Roos, du laboratoire de génétique des primates du Centre allemand des primates à Gottingnen, soutient que les animaux sont menacés par la perte de leur habitat et la chasse. \"La chasse est un gros problème mais la plus grande menace est que l'habitat a presque disparu et qu'il est réduit, fragmenté et isolé en raison de l'occupation humaine\", assure-t-il. La découverte est relatée dans le journal Zoological Research. Des études génétiques révèlent que le Popa langur s'est séparé d'autres espèces connues il y a environ un million d'années."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50281268", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49990432", "doc1": "গত মাসেই তুরস্কের সেনাবাহিনী এবং তাদের সমর্থিত বিদ্রোহীদের সাথে কুর্দি মিলিশিয়াদের যুদ্ধ হয়েছে মোবাইল ফোনে তোলা কিছু ভিডিও প্রকাশ পাবার পর এ অভিযোগ উঠেছে - যাতে সৈন্যদের বর্বরতার ছবি ধরা পড়েছে। জাতিসংঘ তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছে - তার মিত্রদের কর্মকান্ডের জন্য তুরস্ককেই দায়ী করা হতে পারে। তুরস্ক অবশ্য অঙ্গীকার কর��ছে যে তারা ব্যাপারটি তদন্ত করবে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাড়িওয়ালা লোকেরা আল্লাহু আকবর বলে শ্লোগান দিচ্ছে। কুর্দি যোদ্ধাদের কিছু মৃতদেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে, আর একজন লোক তার স্মার্টফোন দিয়ে ভিডিও করতে করতে বলছে, 'আমরা হচ্ছি ফায়লাক-আল-মাজদ্ ব্যাটালিয়নের মুজাহিদ।' একটু দূরে এক নারীর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে, এবং একদল লোক পা দিয়ে দেহটি মাড়াচ্ছে। একজন বলছে, 'ও একটা বেশ্যা।' বীভৎস এসব ভিডিও ফুটেজের সাথে ইসলামিক স্টেট নামের উগ্র গোষ্ঠীর ভিডিওর অনেক মিল আছে। কিন্তু এই ভিডিওটির লোকেরা আইএস জঙ্গী নয়, বরং সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি নামে একটি বিদ্রোহী জোটের যোদ্ধা। এদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও বেতন দেয় তুরস্ক - একটি নেটো জোটভুক্ত দেশ। এই বিদ্রোহী জোটটির কার্যক্রমও চলে তুরস্কের সেনাবাহিনীর কমান্ডের অধীনে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ভিডিওতে যে কর্মকান্ড দেখা যাচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: গণহারে শ্রমিক ফিরে আসার নেপথ্যে কি সৌদি 'ফ্রি ভিসা' বেঁটে পুরুষদের কী যৌনসঙ্গী পেতে সমস্যা হয়? ভারতের সাথে চুক্তি: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বিএনপি অধ্যক্ষকে পানিতে নিক্ষেপ: যা ঘটেছিল সেদিন পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমছে না উত্তর সিরিয়ায় কোন এলাকা কার নিয়ন্ত্রণে: অক্টোবর ২০১৯ গত ২১শে অক্টোবর উত্তর সিরিয়ায় এই ভিডিওটি তোলা হয়। যে মহিলাটির মৃতদেহ পায়ে মাড়ানো হচ্ছে, তার নাম আমারা রেনাস। কুর্দি যোদ্ধা বাহিনী ওয়াইপিজে'র নারী বাহিনীর একজন সদস্য। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বাহিনীকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রেখেছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনীর অভিযানের সময় আমারা রেনাস নিহত হন। গত ৯ই অক্টোবর তুরস্কের সেনাবাহিনী এবং তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রোহীদের অভিযান শুরুর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু ভিডিও বেরুতে থাকে। বলা হয় এসব ভিডিও, তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহীদের তোলা। এরকম একটি ভিডিওতে একজন অজ্ঞাতনামা যোদ্ধাকে আরবি ভাষায় চিৎকার করে বলতে শোনা যায়: \"অবিশ্বাসী আর ধর্মদ্রোহী - আমরা তোদের মাথা কাটতে এসেছি।\" আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা এবং মুখোশধারী এক বিদ্রোহী একজন আতংকিত মহিলাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে ঘিরে আছে অন্য বিদ্রোহীরা। তাদের একজন ভিডিও করছে। আরেকজন চিৎকার করছে, 'শূয়োর'! আরেকজন বলছে, \"ওকে শিরশ্ছেদ করার জন্য নিয়ে যাও।\" আমারা রেনাস, তার মৃতদেহ পা দিয়ে মাড়াতে দেখা গেছে ভিডিওতে ধরা পড়া এই মহিলাটির নাম সিসেক কোবানে - একজন ওয়াইপিজে যোদ্ধা। এ ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায় এবং তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। এটি প্রকাশিত হবার কয়েকদিন পর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেখানো হয়, দুরস্কের একটি হাসপাতালে সিসেক কোবানের চিকিৎসা চলছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ভিডিওতে যে কর্মকান্ড দেখা যাচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবার পরপরই কুর্দি-নেতৃত্বাধীন এসডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। সিরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জেমস জেফরি বলেছেন, অনেক লোক পালিয়ে গেছে কারণ তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রোহীদের ব্যাপারে তাদের ভয় আছে। জিহাদিদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় নি তুরস্ক তুরস্কের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আছে যে তারা সিরিয়ার জিহাদিদের বিরুদ্ধে খুব কমই ব্যবস্থা নিয়েছে। উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক বলছেন, \"পৃথিবীর মোট ১১০টি দেশ থেকে ৪০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা ইসলামিক স্টেটের হয়ে যুদ্ধ করতে সিরিয়া এসেছিল। তারা সবাই এসেছে তুরস্কের ভেতর দিয়ে।\" তিনি বলেন, তিনি তুরস্ককে চাপ দেবার চেষ্টা করেছিলেন যেন আইএসকে ঠেকাতে তারা তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। \"তুরস্ক বলেছিল তারা এটা করতে পারবে না। কিন্তু যেই কুর্দিরা সীমান্ত এলাকার একটা অংশ দখল করলো, তারা এমনভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দিল যেন এটা একটা দেয়াল।\" মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সম্পর্কে তুরস্কের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, তুরস্ক এরকম যে কোন অভিযোগ তদন্ত করবে। তবে অনেক কুর্দি অধিকার কর্মীরই তুরস্কের তদন্তের প্রতিশ্রুতির ওপর কোন আস্থা নেই। গত এক দশকে বিভিন্ন সময় এমন অনেক বিচলিত হবার মতো ছবি ও ভিডিও বের হয়েছে - যা দৃশ্যত তুর্কী সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীর তোলা এবং এতে বন্দী কুর্দি ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যার দৃশ্য দেখা গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: তুরস্কের অভিযানের শিকার কুর্দি জনগোষ্ঠী কারা? ট্রাম্পের যে সিদ্ধান্ত বদলেছে সিরিয়া যুদ্ধের চিত্র সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে?", "doc2": "L'alliance des Forces démocratiques syriennes a mené la lutte contre le groupe de l'État islamique en Syrie. L'annonce du début de l'offensive contre les Unités de Protection du Peuple (YPG) a été faite par le président turc Recep Tayyip Erdogan. Ce dernier s'est dit plus que jamais déterminé à éloigner de la frontière turque cette milice que la Turquie considère comme \"terroriste\" en raison de ses liens avec le Parti des Travailleurs du Kurdistan (PKK). \"Les Forces armées turques et l'Armée nationale syrienne (des rebelles syriens soutenus par Ankara, NDLR) ont débuté l'opération +Source de paix+ dans le nord de la Syrie\", a annoncé M. Erdogan sur Twitter. \"La zone de sécurité que nous allons créer va permettre le retour des réfugiés syriens dans leur pays\", a-t-il ajouté. Au moment de l'annonce de M. Erdogan, une explosion a été entendue dans la région de Ras al-Ain en Syrie, frontalière de la Turquie. Une épaisse colonne de fumée était visible depuis la frontière turque. L'Observatoire syrien des droits de l'Homme (OSDH) a fait état de plusieurs \"frappes aériennes\", notamment dans le secteur de Ras al-Ain. Cette offensive est la troisième d'Ankara en Syrie depuis 2016. Lire aussi Condamnations Les Kurdes syriens rejettent les plans de la Turquie et disent qu'ils défendront leur territoire à tout prix Le président de la commission européenne Jean-Claude Juncker exige l'arrêt de l'offensive lancée par la Turquie dans le nord de la Syrie et a averti qu'aucun financement européen ne serait accordé \"pour une zone de sécurité\". \"La Turquie doit cesser l'opération militaire en cours. Elle ne donnera pas de résultat. Et si le plan de la Turquie est la création d'une zone de sécurité, n'attendez pas de financement de l'Union européenne\", a-t-il affirmé devant le Parlement européen réuni à Bruxelles\". La France condamne \"très fermement\" l'offensive turque lancée mercredi dans le nord de la Syrie et saisit le Conseil de sécurité de l'ONU, a déclaré la secrétaire d'État aux Affaires européennes, Amélie de Montchalin, quelques instants après le début de l'opération turque. \"La France, l'Allemagne et le Royaume uni sont en train de finaliser une déclaration commune qui sera extrêmement claire sur le fait que nous condamnons très fortement et très fermement ce qui est rapporté\", a-t-elle dit devant la commission des Affaires étrangères de l'Assemblée nationale. Le Congrès américain va faire payer \"très cher\" au président turc Recep Tayyip Erdogan son offensive en Syrie contre des forces kurdes alliées de Washington, a prévenu mercredi l'influent sénateur républicain Lindsey Graham. \"Priez pour nos alliés kurdes qui ont été honteusement abandonnés par l'administration Trump\", a-t-il écrit sur Twitter. \"Je vais mener les efforts aux Congrès pour qu'Erdogan paie très cher\", a ajouté celui qui est d'ordinaire un proche soutien du président Donald Trump. En Turquie, Erdogan à l'épreuve des urnes"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53312067", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53315972", "doc1": "কর্মক্ষেত্রে কি মেয়েরা আবারও পিছিয়ে পড়বে এই মহামারির কারণে? মিজ রামোস বেশ উচ্চপদে কাজ করেন। একটি আন্তর্জাতিক ইনস্যুরেন্স গ্রুপের রিস্ক ম্যানেজার। তিনি বলেন, ইনস্যুরেন্স ব্যবসায় পুরুষদেরই প্রাধান্য। কাজেই এরকম একটি সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে তাকে ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে শক্ত হতে হয়েছে এবং প্রতিদিন সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, “কর্মজীবনের একেবারে শুরুতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমাকে অনেক দেরিতে অফিস থেকে বেরুতে হবে, আমাকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে, আমাকে পুরুষদের তুলনায় তিনগুণ বেশি চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যোগ্য প্রমাণের জন্য।” মিজ রামোজ ব্রাজিলের এসোসিয়েশন অব উইমেন ইন ইনস্যুরেন্স মার্কেট নামের একটি সংস্থার উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি একটি বই লিখছেন, যেটি অক্টোবরে প্রকাশিত হবে। কম বয়সী মেয়েদের প্রতি তার উপদেশ হচ্ছে: কেউ যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, মনোযোগী হন এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন, তাহলে তিনি অবশ্যই শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। তবে আরও অনেক বিশেষজ্ঞের মতো, তিনিও উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন, এই মহামারীর সময় নারীর কেরিয়ারের ওপর যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে, সেটি তাদের আবার পেছনে ঠেলে দিতে পারে। দ্বিতীয় শিফট অফিসের কাজ সামলানোর পাশাপাশি ঘরের কাজও সামলাতে হয় মেয়েদের। যেসব পরিবারে বাবা-মা‌ দুজনকেই এখন ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ঘরেই ছেলে-মেয়েদের স্কুলের পাঠ দিতে হচ্ছে, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে দেখাশোনা করতে হচ্ছে, সেখানে পরিস্থিতি আসলেই বেশ কঠিন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, যে কাজের জন্য কোন পারিশ্রমিক মেলে না, সেরকম কাজের তিন চতুর্থাংশ এখনো মেয়েদেরই করতে হয়। “শিশুদের যত্ন এবং গৃহস্থালি কাজের বড় বোঝাটা যে এখনো মায়েদেরকেই টানতে হয়, এটা তো কোন গোপন ব্যাপার নয়‍”, বলছেন মামসনেট বলে একটি ব্রিটিশ অনলাইন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জাস্টিন রবার্টস। তাঁর মতে, এই বাস্তবতা নারীর ওপর আরও চাপ তৈরি করছে। \"মায়েদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তাটা কাজ করছে তা হলো- তারা সাধারণত যতটা ভালোভাবে কাজ করতে পারে, ততটা ভালোভাবে তারা করতে পারছে না, ফলে তারা ছাঁটাই হতে পারে বা সমস্যায় পড়তে পারে এমন আশংকা তৈরি হয়েছে।” “আর তাদের চাকরি বা আয় যদি নিরাপদও থাকে, অনেকে বলছে এভাবে তারা বেশিদিন চালিয়ে নিতে পারবেন না।” খুব কম সংসারেই নারী-পুরুষকে সমানভাবে গৃহস্থালি কাজের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়। মিস রামোস বলেন, মেয়েরা কর্ম ক্ষেত্রে তাদের কাজ শেষ করার পর বাসায় ফিরে তাদের কিন্তু সাধারণত দ্বিতীয় একটা শিফট শুরু করতে হয়। তিনি বলছেন, যত নারীকে তিনি চেনেন তাদের সবাইকে এখন এই দুইটা শিফটকে একসঙ্গে চালাতে হচ্ছে এবং এর ফলে তাদের উপর একটা বিরাট বড় মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। অনেকে এমনকি এই মহামারির সময় তাদের কাজ ছেড়ে দেয়ার কথা পর্যন্ত ভাবছেন। সেকেলে কর্মক্ষেত্র অ্যালিসন জিমারম্যান হচ্ছেন ক্যাটালিস্ট নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিও প���িচালক। এই প্রতিষ্ঠানটি বড় বড় কর্পোরেশনের সঙ্গে মিলে কাজ করছে যাতে মেয়েদের জন্য কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ আরও ভালো করা যায়। তিনি বলছেন “আমাদেরকে আসলে খুব গভীরভাবে ভাবতে হবে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অভিজ্ঞতা আসলে কি।” “এই পুরো সিস্টেমটা আসলে খুব বেশি সেকেলে এবং যখন আপনি জিনিসটা একটু ভালোভাবে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, কর্পোরেশনগুলোর আসলে উচিত নিজেদের স্বার্থেই কর্মক্ষেত্রে একটা নতুন স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করা।” ক্যাটালিস্ট বহু বছর ধরে দশ হাজার এমবিএ গ্রাজুয়েটের কেরিয়ার পর্যবেক্ষণ করছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই আছে। এরা পাস করে বেরিয়েছে এশিয়া, কানাডা, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব নামকরা বিজনেস স্কুল থেকে। এক মর্কিন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোম্পানি বিপদে পড়লে শেয়ার হোল্ডাররা নারী পরিচালকের ওপর ভরসা করতে পারেন না। এই গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক অপশনের অভাবে মেয়েদের ক্যারিয়ার কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তারা মা হওয়ার পর। তবে এর বাইরেও অনেক সুপ্ত বৈষম্য রয়েছে যেগুলো মেয়েদের কেরিয়ারের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়, তাদের সন্তান থাক বা না থাক তাতে কিছু আসে যায় না। যেমন ক্যাটালিস্ট এর গবেষণায় দেখা গেছে যে, এমবিএ পাশ করে বেরোনোর পর প্রথম চাকরিতে মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় অনেক নিচের স্তর থেকে শুরু করে। আর পুরুষরা যখন অফিসে অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করে সেটা তাদের কেরিয়ারে সহায়ক হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সেটা ঘটে না। যখন কোন পুরুষ গ্রাজুয়েট তার চাকরি বদল করে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়, সাথে সাথে তার বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় এটি ঘটে না ।তাদেরকে আগে ম্যানেজারের কাছে প্রমাণ করতে হয় যে তারা এর যোগ্য। মিজ জিমারম্যান বলেন, মেয়েদেরকে প্রতিনিয়ত তাদের দক্ষতা বাড়াতে হয়। আর পুরুষদেরকে কেবলমাত্র তাদের সম্ভাবনা দেখেই প্রমোশন দিয়ে দেয়া হয়। এরকম একটা ধারণা বাইরে প্রচলিত যে পুরুষরা যা করছে ঠিক সেটাই যদি মেয়েদের করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, সেটা একটা বিরাট অগ্রগতি। কিন্তু বাস্তব সত্য আসলে তা নয়। মেয়েদের বেলায় অনেক বেশি উচ্চ মানের কাজ আশা করা হয় পুরুষদের তুলনায় এবং এটা এক ধরনের বৈষম্য। অর্থনৈতিক সংকটে পরিস্থিতি আরও জটিল কর্মক্ষেত্রে বৈচিত��র্য সংরক্ষণ করতে পারে যেসব কোম্পানি তারাই সফল হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই ধরনের বৈষম্য আরও জোরালো-ভাবে ফিরে আসছে। একটি প্রকাশিতব্য গবেষণায় বলা হচ্ছে মেয়েরা যখন বড় বড় কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় যোগ দিতে যাচ্ছে তখন এটা আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানি এখন অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই গবেষণায় ২০০৩ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের নির্বাচন বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন, যখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলে, তখন শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণত নারীদের নিয়ে খুশি থাকেন। কিন্তু যখন কোম্পানিগুলো সংকটে পড়ে তখন তারা বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় মেয়েদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত থাকেন এবং তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরকম পরিস্থিতিতে পুরুষদের কাছে যে ধরনের দক্ষতা আশা করা হয় মেয়েদের বেলায় প্রত্যাশা তার চাইতে অনেক বেশি। এর ফলে অনেক মেয়ে কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক কোরিন পোস্ট বিবিসিকে বলেন, “এটার অন্য কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এর একমাত্র ব্যাখ্যা হচ্ছে বৈষম্য।” ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্জুন মিত্র বলেন, অনেক কোম্পানি তাদের মেধাবী নারীকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করছে না বা অবমূল্যায়ন করছে। অথচ এসব কোম্পানি এই নারী নেতৃত্ব থেকে লাভবান হতে পারত। নিম্নআয়ের নারীদের উপর প্রভাব গত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিরাট বড় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যে বৈষম্য সেটা পুরোপুরি মোচন করতে গেলে আরও অন্তত এক শতাব্দীর সময় লাগবে বলে বলছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। ন���ম্নআয়ের নারীদের বেলায় এই বৈষম্য এখনই চোখে পড়তে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তাতে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি কাজ হারিয়েছেন। কারণ এই সংকট সেই সব সেক্টরেই আসলে বেশি প্রভাব ফেলছে, যেখানে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেশি। যেমন, হসপিটালিটি, খাদ্য এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। যেমন সেন্ট্রাল আমেরিকায় ৫৯ শতাংশ নারী এসব সেক্টরে কাজ করেন। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪৯ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকায় ৪৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের মধ্যে বেকারত্বের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। এর আগের সংকট গুলোতে দেখা গেছে যখন মেয়েরা তাদের কাজ হারায় তখন তাদেরকে অনেক বেশি করে পারিশ্রমিকবিহীন সেবা কাজে সময় দিতে হয়। যেহেতু এরকম সংকটের সময় কাজ পাওয়া খুব কঠিন, তখন যে সমস্ত কাজ পাওয়া যায় সেগুলোতে মেয়েদের নেয়া হয়না। পুরুষরা সেগুলো পায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা একথা বলছে। অনেক দেশে এরকম দৃষ্টিভঙ্গি খুব জোরালো যে, কাজ পাওয়ার বেলায় মেয়েদের চাইতে পুরুষদেরই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ৩৪টি দেশে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এ কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার। লোকজনকে এই জরিপে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের সময় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশি অধিকার থাকা উচিত কিনা। ভারত এবং তিউনিসিয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আর তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনস এবং নাইজেরিয়ায় ৭০ শতাংশ এই মত সমর্থন করেছেন। কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা একই কথা বলেছেন। আর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোতে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি লোক একই কথা বলেছেন। এই জরিপে বিশ্বজুড়ে এ ধরনের মত সমর্থন করেছেন গড়ে ৪০ ভাগ উত্তরদাতা। জুলিয়ানা হরোউইটয হচ্ছেন পিউ রিসার্চ সেন্টারের একজন অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর। তিনি বলেন, যেসব দেশে লোকজন মুখে বলে যে তারা লিঙ্গসমতা সমর্থন করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর তুলনায় পুরুষদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ, সেসব দেশে এটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব আছে। তিনি বলেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশগুলো যখন চেষ্টা করছে, তখন এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে। এক কদম পিছিয়ে দুই কদম সামনে কিন্তু এসবের প্রভাব যাই হোক, এক সময় এই মহামারি কেটে যাবে এবং মিজ রামোস বিশ্বাস করেন এটি এক নতুন বাস্তবতার পথ খুলে দেবে, যার সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে। লুসিয়ানা ব্যারোস একটি এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানীর প্রধান নির্বাহি, যাদের পোর্টফলিও হচ্ছে একশো কোটি ডলারের বেশি। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো এক ধাপ পিছিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে যাব।” তিনি বলেন, নারীরা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন তাদের কেরিয়ারের ব্যাপারে। তার মতে, লিঙ্গ সমতার সংগ্রাম এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তিনি বিশ্বাস করেন মহামারি পরবর্তী কাজের বাজারে নিজেদের কেরিয়ায় আঁকড়ে থাকার জন্য মেয়েদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে তিনি প্রশ্ন তুলছেন, যেসব কোম্পানিতে এই মেয়েরা কাজ করেন, তারা তাদের এই মেধাকে কতটা মূল্য দেয়। এই কথার সঙ্গে একমত মিজ জিমারম্যান। নতুন পাস করে বেরুনো বিজনেস গ্রাজুয়েট মেয়েদের তিনি পরামর্শ দেন, কোন কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার আগে সেটির শীর্ষ পদে কি ঘটছে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য। “যখন আপনি চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনি কিন্তু একটা নিখুঁত প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন না। আপনি অগ্রগতির সুযোগ খুঁজছেন। আপনি যদি দেখেন যে কোন কোম্পানির নেতৃত্ব পর্যায়ে আপনার প্রতিনিধিত্ব করার কোন সুযোগ নেই এবং যদি দেখেন যে কোন কোম্পানি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে না, তখন আমি হলে সেই কোম্পানিতে যোগ না দিয়ে অন্য কোথাও কাজ খুঁজবো।”", "doc2": "Simone Ramos Cadre de haut niveau et gestionnaire de risques pour un groupe d'assurance mondial, Mme Ramos affirme que le fait d'être une femme leader dans un secteur dominé par les hommes l'a obligée à \"être plus forte et à se dépasser chaque jour\". \"Très tôt dans ma carrière, j'ai réalisé que je devais quitter le bureau plus tard, que je devais étudier davantage, que je devais faire mes preuves trois fois plus que n'importe quel homme\", a-t-elle déclaré à la BBC. A lire aussi : Mme Ramos est également conseillère pour l'association brésilienne des femmes sur le marché de l'assurance et a prévu de publier un livre sur le sujet en octobre prochain. Elle dit aux jeunes femmes qu'elles peuvent atteindre le sommet avec \"de la concentration, de la détermination et des objectifs clairs\". Mais comme d'autres experts, elle s'inquiète des pressions supplémentaires qui pèsent sur les carrières des femmes pendant la pandémie - et se demande si cela peut finir par les faire reculer professionnellement. Sur le coronavirus : Deuxième travail La situation est particulièrement difficile dans les familles où les parents essaient de travailler à la maison tout en s'occupant de leurs enfants ou d'autres membres de la famille. Selon l'Organisation internationale du travail (OIT), ce sont toujours les femmes qui assument les trois quarts de l'ensemble des tâches de soins non rémunérées. \"Ce n'est un secret pour personne que ce sont encore les mères qui assument la plus grande partie de la charge des soins aux enfants et du travail domestique dans la plupart des familles\", déclare Justine Roberts, fondatrice et directrice générale de Mumsnet, le plus grand réseau en ligne pour les parents au Royaume-Uni. Selon Mme Roberts, cette réalité \"accentue la pression\" sur les femmes et laisse les mères particulièrement \"chargées\". \"Les mères craignent de se retrouver au chômage ou d'avoir des ennuis au travail parce qu'elles n'ont pas été capables d'être aussi performantes qu'elles le sont habituellement\", a déclaré Mme Roberts à la BBC. \"Même si les femmes ont le sentiment que leur emploi ou leurs revenus sont relativement sûrs, beaucoup disent qu'elles ne peuvent pas continuer comme ça longtemps. Mme Ramos souligne que les femmes ont traditionnellement effectué un \"deuxième travail\" à la maison une fois leur journée de travail terminée. Aujourd'hui, la plupart des femmes qu'elle connaît \"essaient de faire les deux travail en même temps\" - et les conséquences sur leur santé mentale poussent certaines à envisager de quitter leur emploi, ou au moins le temps de la pandémie. Le lieu de travail est dépassé \"Nous devons vraiment nous pencher sur la réalité de l'expérience des femmes sur le lieu de travail\", déclare Allyson Zimmermann, directrice de Catalyst, une ONG mondiale qui travaille avec les entreprises pour améliorer les conditions de travail des femmes.\"Le système est dépassé. Et quand vous le regardez, il est dans l'intérêt des entreprises de trouver une nouvelle normalité sur le lieu de travail après Covid\", a déclaré Mme Zimmermann à la BBC. Catalyst a passé des années à suivre la carrière de 10 000 diplômés de MBA, hommes et femmes, issus de 26 grandes écoles de commerce en Asie, au Canada, en Europe et aux États-Unis. Dans leurs recherches, ils ont observé comment le manque d'options de travail flexibles affecte la motivation des femmes au moment où elles entrent dans la maternité. Mais il existe également des préjugés implicites qui freinent fortement les progrès des femmes, indépendamment de leur expérience ou du fait qu'elles aient ou non des enfants. A lire aussi : Par exemple, dans les études Catalyst, les femmes étaient plus susceptibles que les hommes de commencer à un niveau inférieur dans leur premier emploi post-MBA. Et lorsque les hommes travaillent de longues heures, cette stratégie semble favoriser leur carrière, mais pas celle des femmes. Les diplômés masculins étaient récompensés par des augmentations de salaire dès qu'ils passaient d'une entreprise à l'autre, mais les salaires des femmes ne semblaient augmenter qu'après avoir fait leurs preuves auprès de leurs dirigeants. \"Les femmes doivent constamment améliorer leurs performances, alors que les hommes sont promus en fonction de leur potentiel\", a déclaré Mme Zimmermann. \"Il existe cette perception selon laquelle si les femmes faisaient exactement la même chose que les hommes, elles progresseraient. Et la vérité, c'est que ce n'est pas le cas\", a-t-elle ajouté.\"Les femmes sont souvent tenues d'avoir un niveau bien plus élevé que les hommes. C'est un préjugé très inconscient\". La crise économique rend les choses plus difficiles. Une nouvelle étude américaine suggère que ces préjugés peuvent réapparaître fortement lors des crises économiques. Un document à paraître a révélé que les femmes qui tentent de rejoindre les organes les plus élevés des entreprises - le conseil d'administration - ont beaucoup plus de mal à s'intégrer lorsque les entreprises sont en difficulté. Après avoir analysé 50 000 élections de conseils d'administration dans 1 100 sociétés cotées en bourse entre 2003 et 2015, les chercheurs ont constaté que les actionnaires étaient normalement heureux de soutenir les femmes directrices lorsque tout allait bien. Toutefois, si l'entreprise connaissait des difficultés ou une crise, ils étaient beaucoup plus susceptibles de retirer leur soutien à la candidate. Ces femmes étaient tenues à des normes beaucoup plus élevées que leurs pairs et étaient plus susceptibles de quitter l'entreprise au cours des années suivantes. Corinne Post, de l'université de Lehigh, dans l'État américain de Pennsylvanie, raconte à la BBC : \"Il est difficile de trouver une autre explication, autre que ces préjugés sur les engagements des femmes ou si elles travaillent vraiment aussi dur qu'elles le devraient\". Steve Sauervald, de l'université de l'Illinois à Chicago, affirme que d'autres études suggèrent que la diversité profite aux résultats des entreprises, qu'elle est liée à une diminution des fraudes et à un comportement plus éthique, et qu'elle donne aux entreprises un avantage pour être compétitives sur des marchés dynamiques. Arjun Mitra, de l'Université d'État de Californie, ajoute que les entreprises sapent leurs talents féminins \"à un moment où elles pourraient tirer le meilleur parti des qualités de leadership des femmes\". \"Cela envoie un signal très fort que les entreprises ne sont pas très favorables à la présence de femmes dans les postes de direction\", dit-il. Les femmes moins bien rémunérées sont également touchées Le monde a fait d'énormes progrès en matière d'égalité des sexes au cours des cinquante dernières années, mais il faudra encore au moins un siècle avant que les hommes et les femmes ne comblent les écarts sur le lieu de travail, selon le Forum économique mondial (FEM). Et la Covid-19 a déjà un impact sur les femmes ayant des tranches de revenus inférieures. La crise économique a davantage détruit les emplois de femmes que d'hommes, car elle frappe les secteurs économiques où les femmes sont surreprésentées dans la population active, comme l'hôtellerie, la restauration, la vente au détail et l'industrie manufacturière. En Amérique centrale, par exemple, 59 % des femmes sont employées dans ces secteurs, tandis qu'en Asie du Sud-Est, elles sont 49 % et en Amérique du Sud, 45 %. Aux États-Unis, le chômage des femmes est plus élevé que celui des hommes. \"Les crises précédentes ont montré que lorsque les femmes perdent leur emploi, leur engagement dans le travail de soins non rémunéré augmente, et que lorsque les emplois sont rares, les femmes se voient souvent refuser les possibilités d'emploi offertes aux hommes\", prévient l'Organisation internationale du travail (OIT). Dans de nombreux pays, on estime que les femmes ont moins le droit de travailler que les hommes, selon une enquête menée dans 34 nations et publiée en juin par le Pew Research Center américain. On a demandé aux gens si les hommes devraient avoir plus de droit à un emploi en période de difficultés économiques. Environ 80 % des personnes interrogées étaient d'accord avec cette affirmation en Inde et en Tunisie, tandis que pour la Turquie, l'Indonésie, les Philippines et le Nigeria, le pourcentage était supérieur à 70 %. Au Kenya, en Afrique du Sud, au Liban et en Corée du Sud, plus de 50 % des personnes interrogées étaient de cet avis. Au Brésil, en Argentine, en Russie, en Ukraine et au Mexique, les réponses étaient proches de la moyenne mondiale de 40 %. Juliana Horowitz, directrice associée pour les tendances sociales et démographiques chez Pew, affirme qu'il existe une \"tension apparente\" dans les pays où les gens disent soutenir l'égalité des sexes, mais pensent que les hommes ont plus de droits que les femmes en matière d'emploi.\" [Cela] pourrait avoir des répercussions sur les chances des femmes alors que les pays font face au ralentissement économique causé par la pandémie \", a déclaré Mme Horowitz à la BBC. \"Nous allons faire un pas en arrière et deux en avant\" Mais quel que soit l'impact, la pandémie finira par passer, et Mme Ramos pense qu'elle fera place à une \"nouvelle réalité\" à laquelle les entreprises ont déjà commencé à s'adapter. Elle pense que les entreprises commencent à adopter un \"regard plus compatissant\" et qu'elles offriront des options de travail plus flexibles, adaptées à la situation personnelle des employés, comme norme. Luciana Barretos, PDG d'une société de gestion d'actifs dont le portefeuille mondial s'élève à 1 milliard de dollars, a déclaré à la BBC : \"Je pense que nous allons faire un pas en arrière et deux pas en avant\". Selon Mme Barretos, les femmes sont de plus en plus conscientes de l'importance de leur carrière \"pour se libérer et s'épanouir\", donc \"la lutte pour l'égalité des sexes ne s'arrête pas là\". Coronavirus : des femmes de ménages éthiopiennes jetées en devant leur ambassade à Beyrouth Mais elle estime que sur le marché du travail post-pandémique, il sera encore plus crucial pour les femmes de \"s'approprier\" leur carrière, et de se demander si les entreprises pour lesquelles elles veulent travailler valorisent vraiment le mérite. Mme Zimmermann est d'accord et dit qu'elle dit généralement aux étudiantes en commerce de regarder ce qui se passe à la tête des entreprises avant de postuler pour un emploi dans celles-ci. \"Lorsque vous cherchez votre employeur, vous ne recherchez pas la perfection, mais le progrès. Si vous ne vous voyez pas représenté à la direction, ou si vous ne voyez pas qu'ils travaillent activement dans ce sens... alors je regarderais dans une autre entreprise\", dit-elle."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48108297", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48095558", "doc1": "বিশ্বের বেশ কটি দেশে জনসমক্ষে মুখ ঢাকা বোরকা এবং নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার অফিস থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে - 'জাতীয় নিরাপত্তার' স্বার্থে যে কোনো মুখ ঢাকা কাপড় যা চেহারা সনাক্ত করায় বাধা তৈরি করে তা এখন থেকে নিষিদ্ধ । এই নিষেধ���জ্ঞার সমর্থকরা বলছেন, জন-নিরাপত্তার জন্য এটা জরুরী ছিল এবং এর পরে দেশের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে মেলামেশা বাড়বে। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্য, কারণ অনেক মুসলিম নিকাব ব্যবহারকে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা মনে করে। নিকাব এবং বোরকা নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বিতর্ক রয়েছে। বেশ কটি দেশ নিকাব নিষিদ্ধ করেছে। কোন কোন দেশে নিকাব নিষিদ্ধ? ইউরোপ ফ্রান্স প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ যেখানে ২০১১ সালে জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়। মামলা গড়ায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত। কিন্তু ২০১৪ সালের জুলাই মানে ইউরোপীয় ঐ আদালতও নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। ২১০৮ সালের অগাস্টে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ডেনমার্ক। এ ব্যাপারে জারী করা এক আইনে বলা হয় - জনসমক্ষে এমন কোনো পোশাক যদি কেউ পরে যাতে তার মুখ পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় তাহলে ১০০০ ক্রোনা (১৫৭ ডলার) জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার এই নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে ১০ গুণ বেশি জরিমানা গুনতে হবে। ইউরোপের বেশ কিছু দেশে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা নিয়ে মুসলিমরা ছাড়াও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদ করেছে। ডেনমার্কের দুমাস আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের সেনেটে একটি আইন পাশ করে সরকারি স্থাপনাগুলোতে (স্কুল, হাসপাতাল, গণপরিবহন) নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সেদেশে রাস্তায় নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়নি। জার্মানিতে গাড়ি চালানোর সময় নিকাব পরা বেআইনি। জার্মানির সংসদে পাশ করা একটি আইনে বিচারক, সরকারি কর্মচারী এবং সেনাবাহিনীতে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া, পরিচয় সনাক্ত করার প্রয়োজন হলে নিকাব সরানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেলজিয়ামে ২০১১ সালের জুন মাসে পর্দা দিয়ে মুখমণ্ডল পুরোপুরি ঢাকা নিষিদ্ধ করে আইন হয়েছে। পার্ক বা রাস্তায় যে কোনো পোশাক যাতে মানুষের চেহারা ঢাকা পড়তে পারে তা নিষিদ্ধ করা হয়। অস্ট্রিয়ায় স্কুল এবং আদালত সহ অনেক জায়গায় নিকাব নিষিদ্ধ করে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইন করা হয়। নরওয়েতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিকাব নিষিদ্ধ করে আইন হয়েছে। বুলগেরিয়াতে ২০১৬ সালে এক আইনে নিকাব পরার জন্য জরিমানার পাশাপাশি সরকারি কল্যাণ ভাতা কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লুক্স���মবুর্গে হাসপাতাল, আদালত এবং সরকারি অফিস-আদালত সহ কিছু কিছু জায়গায় পুরোপুরি মুখ ঢেকে রাখার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। ইউরোপের কয়েকটির দেশে আবার কিছু কিছু শহর এবং অঞ্চলে নিকাব নিষিদ্ধ। ইটালির কয়েকটি শহরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেমন নোভারায় অভিবাসন বিরোধী দল নর্দার্ন লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০১০ সালে সেখানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করে। স্পেনের বার্সিলোনা শহরে ২০১০ সাল থেকে কিছু কিছু জায়গায় (মিউনিসিপাল অফিসে, বাজারে, লাইব্রেরিতে) নিকাব পরা নিষিদ্ধ। সুইজারল্যান্ডে কিছু অঞ্চলেও জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ। ভিয়েনায় জনসমক্ষে বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ আফ্রিকা শাদ, গ্যাবন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র,ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে এবং নিজেরের ডিফা অঞ্চলে জনসমক্ষে নিকাব নিষিদ্ধ। ২০১৫ সালে আফ্রিকার ঐ অঞ্চলে নিকাব পরিহিত নারীরা পর পর কয়েকটি আত্মঘাতী হামলা চালানোর পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আলজেরিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে সরকারি কর্মচারীদের নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। চীন চীনের উইগুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে জনসমক্ষে নিকাব এবং লম্বা দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ।", "doc2": "Les voiles couvrant le visage sont désormais interdits au Sri Lanka. Le président Maithripala Sirisena a fait recours à ses pouvoirs d'exception qui lui confèrent la constitution en cas de force majeure. La mesure concerne toute forme de voile qui empêcherait une personne d'être identifiée. L'interdiction entre en vigueur lundi 29 avril. Lire aussi : Au Sri Lanka, le bilan des attentats s’alourdit Le président sri-lankais ne précise pas s'il s'agit du niqab ou de la burka - portés par les femmes musulmanes. Mais cette interdiction vise particulièrement les deux cas. Le Sri Lanka reste en état d'alerte huit jours après les attaques islamistes qui ont frappé des églises et des hôtels. Combien de personnes sont concernées ? Un peu moins de 10 % des 21 millions de Sri-Lankais sont musulmans. Seul un petit nombre de femmes porteraient le niqab couvrant le visage ou la burka - un vêtement d'une seule pièce qui couvre le visage et le corps. La semaine dernière, un député sri-lankais avait proposé d'interdire le port de la burka aux femmes, déclarant qu'elle devrait être interdite pour des raisons de sécurité. Voir aussi : Au lendemain de la série d’attentats, le Sri Lanka se recueille Les leaders musulmans locaux, ceux de l'organisation ''All Ceylon Jamiyyathul Ulama'', ont appelé avant l'interdiction les femmes musulmanes à ne pas couvrir leur visage de crainte de réactions hostiles après les attaques sanglantes revendiqués par le groupe djihadiste État islamique. Mais ils sont très critiques à l'égard de la décision du président. \"C'est la chose la plus stupide à faire. Il y a trois jours, nous avons pris une décision volontaire à ce sujet. Nous avons demandé à toutes les femmes musulmanes de ne pas se couvrir le visage pour des raisons de sécurité. Si elles insistaient pour garder le voile, on leur conseillait de ne pas sortir\", a déclaré à la BBC le vice-président du groupe, Hilmy Ahmed. Lire aussi : L’Algérie interdit le voile intégral à l’école Maroc: la fabrication et la vente de la burqa interdites \"Nous y voyons le reflet du conflit entre le président et le Premier ministre. Nous critiquons fortement cette décision. Nous n'accepterons pas que les autorités interfèrent avec la religion sans consulter les autorités religieuses\", a-t-il poursuivi. Plusieurs pays, aussi bien en Europe, en Asie qu'en Afrique, ont déjà interdit le port de voile qui couvre tout le visage. Voir aussi : Au Sri Lanka, une terreur qui rappelle les années de plomb"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50799973", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50982898", "doc1": "কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে চমৎকার ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়? সুতরাং প্রশ্ন হলো, কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে চমৎকার ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়? এটা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। ঘুমোতে যাবার কিছু নিয়ম-কানুন আছে যা সবাই শিখে নিতে পারে। এখানে তেমনটি পাঁচটি টিপস দেয়া হলো, যা ভালো ঘুমের কিছু পরীক্ষিত কৌশল। ১. প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন: আপনি কি সত্যি সত্যিই ক্লান্ত? অনিদ্রার সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের অনেক সময়ই প্যাঁচার সাথে তুলনা করা হয় আপনি ভাবতে পারেন : এ আবার কেমন প্রশ্ন? আমি যে ক্লান্ত সেটা কি আমি নিজে বুঝবো না? আসলে কথাটা হলো, আপনি যদি সত্যি বিছানায় যাবার জন্য তৈরি হন - তাহলে সহজেই ঘুম এসে যায়। তবে একজনের কাছে যা 'স্বাভাবিক' ঘুমানোর সময় - অন্য কেউ কেউ সে সময়টায় ঘুমাতে পারেন না। যদি আপনার এ সমস্যা থাকে - তাহলে দিনের বেলা যত বেশি সম্ভব সময় প্রাকৃতিক আলোর মধ্যে কাটাতে চেষ্টা করুন, এবং সেটা শুরু করুন ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে এর ফলে রাত-জাগা লোকদের 'দেহ-ঘড়ি'কে আগেভাগে ঘুমানোর জন্য তৈরি করা যায়। দিনের বেলা যথেষ্ট ব্যায়াম ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিছানায় যাবার আগের চার ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম না করলেই ভালো। কারণ এর ফলে শরীরে যে এ্যাড্রিনালিন নি:সৃত হয় - তা হয়তো আপনাকে ঘুমোতে দেবে না। আপনি যদি ছোট্ট শিশু না হন এবং আপনার কম ঘুম হয় - এমন সমস্যা থাকে, তাহলে দিনের বেলা - বিশেষ করে বিকেল ৪টার পর - না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার রাতে ঘুম হবার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। ২. আপনি কি খাচ্ছেন বা পান করছেন সেদিকে নজর দিন ঘুমানোর আগে গুরুপাক, চিনিযুক্ত খাবার বা মদ্যপান করবেন না। প্রকৃতপক্ষে ভালো ঘুমের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিছানায় যাবার সময়ের অনেক আগে। তাই ঘুমাতে যাবার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই ক্যাফেইন আছে এমন কোন পানীয় পান করা বন্ধ করে দিন। ক্যাফেইন এমন এক জিনিস যা আপনার শরীরে থাকে অন্তত ৯ ঘণ্টা। কাজেই ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো 'ফিজি ড্রিংকস' পান বাদ দেবার কথা ভাবুন। অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে একেবারে ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলেও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। ��দি পারেন তাহলে ঘুমের সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এবং তাতে ভারী গুরুপাক খাবার বা চিনি-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে জেগে ওঠার সমস্যা কেটে যাবে। এ্যালকোহল বা মদ্যপান আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করতে পারে - কিন্তু আপনার সেই ঘুম খুব গভীর হবে না। যাকে বলে 'র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট' বা 'আরইএম স্লিপ' - তা মানুষের স্মৃতি ও শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অগভীর ঘুমে তার ক্ষতি হয়। তা ছাড়া মদ্যপানের ফলে শরীরে বেশি প্রস্রাব তৈরি হয়, তাই রাতে টয়লেটের জন্য ঘুম ভেঙে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৩. ঘুমেরআগে রিল্যাক্স করার জন্য কিছু করুন নিয়ম মেনে চললে অনিদ্রার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় বিছানায় যাবার আগে এমন একটা কিছু করুন যা আপনার দেহ ও মনকে চাপমুক্ত করবে। এটা আপনাকে প্রতিদিনই করতে হবে, যাতে এটা করলেই আপনার শরীর এবং মন্তিষ্ক বুঝে যায় যে ঘুমাোর সময় হয়েছে। এটা যে কোন কিছু হতে পারে। যেমন হালকা গরম পানিতে স্নান, মেডিটেশন বা ধ্যান করা, আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলা, ডায়েরি লেখা, বই পড়া, বা আলো কমিয়ে দিয়ে গান শোনা। কেমন সঙ্গীত ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? ২০১৫ সালে ম্যাক্স রিখটার নামে একজন কম্পোজার নানা গবেষণার পর ৮ ঘণ্টার সঙ্গীত রচনা করেছেন শুধু ঘুমের জন্য। সে যাই হোক, আপনি ঘুমানোর জন্য যে সঙ্গীদই শুনুন না কেন -আসল শর্ত হলো সেটা শুনে আপনার যেন মনের সব চাপ দূর হয়ে গিয়ে একটা শিথিল ভাব আসে। ৪. ঘুমের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক ভুলে যাবেন না ঘুমের জন্য ঘরে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাটা গুরুত্বপূর্ণ এর অর্থ এই নয় যে ঘুমের আগে আপনাকে স্নান করতে হবে বা দাঁত মাজতে হবে - যদিও এগুলো বেশ উপকারী। আসল কথা হচ্ছে, ঘুমের জন্য আদর্শ পটভূমি তৈরি করা। প্রতিদিন এক সময়ে ঘুমাতে যান, ঘুমের আগে উত্তেজক বা এ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন, ঘরে ঘুমের পরিবেশ তৈরির দিকে নজর দিন। আমাদের বেডরুমের হওয়া উচিত ঘুমের জায়গা, অন্য কিছুর নয়। যে ঘর অন্ধকার, অতিরিক্ত গরম নয়, জিনিসপত্রে ঠাসা নয়, যেখানে নানা যন্ত্রপাতি বা মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয় এমন কিছু নেই। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না। যদি আপনি রেডিওতে কিছু শোনেন তাহলে স্লিপ টাইমার ব���যবহার করুন যাতে এটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে যায়। ৫. আপনার ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন আপনি হয়তো কোন সফল উদ্যোক্তা বা বিশ্বনেতার সম্পর্কে গল্প শুনেছেন - কীভাবে তারা মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েও পুরো দিন কর্মক্ষম থাকেন। সত্য কথাটা হলো: বেশির ভাগ লোকই এটা পারে না। কম ঘুম হলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাতের পর রাত যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয় - তাহলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে তা আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়। এর মানে হচ্ছে - প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা - এবং তা মেনে চলুন ছুটির দিনেও। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ‘টানা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুম বিপজ্জনক’ ঘুম নিয়ে যেসব ধারণা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, কিন্তু ভালো ঘুমের রহস্য কী?", "doc2": "Ah, dormir comme un bébé ! Mais ne vous inquiétez pas, tout le monde peut apprendre une bonne routine pour se coucher. Voici cinq conseils éprouvés pour vous détendre et vous préparer à un sommeil réparateur. Lire aussi : 1. Assurez-vous que vous êtes vraiment fatigué Cela semble évident, mais il est beaucoup plus facile de dormir la nuit si vous êtes prêt à vous coucher. Cependant, les oiseaux de nuit, en particulier, ont souvent du mal à s'endormir à une heure que les autres considèrent comme \"normale\". Si cela vous ressemble, essayez de vous exposer à autant de lumière naturelle que possible pendant la journée - en commençant dès votre réveil. Lire aussi : Les scientifiques ont montré que cela peut aider les oiseaux de nuit à entraîner leur horloge interne pour être prêts à dormir plus tôt.Il est également important de faire suffisamment d'exercice pendant la journée ; mais évitez de faire de l'exercice pendant les quatre heures précédant le coucher, car l'adrénaline qui en résulte peut vous tenir éveillé.Et à moins que vous ne soyez un tout-petit ou que vous manquiez particulièrement de sommeil, essayez d'éviter les siestes de jour : en dormant pendant la journée - surtout après 16 h - vous risquez moins de vous endormir la nuit. 2. Faites attention à ce que vous mangez et buvez Un bon sommeil commence bien avant l'heure du coucher - environ six heures avant, en fait, quand vous devriez déguster votre toute dernière boisson caféinée de la journée. La caféine peut rester dans votre organisme jusqu'à neuf heures, alors si vous voulez vraiment passer une bonne nuit de sommeil, pensez à supprimer le thé, le café et les boissons gazeuses après midi.La plupart des gens ont de la difficulté à dormir l'estomac vide, mais le fait d'aller au lit plein à craquer peut avoir des conséquences tout aussi néfastes sur le sommeil. Lire aussi : Si vous le pouvez, dînez environ quatre heures avant de vous coucher, en évitant tout ce qui est lourd (qui pourrait vous empêcher de dormir) ou sucré (qui pourrait vous réveiller dans la nuit).Et résistez à ce bouchon de nuit : l'alcool peut vous aider à vous endormir plus rapidement, mais c'est une mauvaise nouvelle pour la qualité de votre sommeil, le sommeil paradoxal - vital pour l'apprentissage et la mémoire - étant le plus touché. C'est aussi un diurétique, ce qui signifie que vous avez plus de chances de vous réveiller la nuit en ayant besoin d'aller aux toilettes si vous buvez avant de vous coucher. 3. Effectuer un rituel relaxant à l'heure du coucher Une agréable routine au coucher peut vous détendre mentalement et physiquement - et avec la répétition, votre corps et votre cerveau en viendront à reconnaître ses étapes comme un signe qu'il est temps de dormir. Votre rituel peut consister à prendre un bain ou une douche chaude, à méditer, à parler à votre partenaire ou à votre famille, à écrire un journal, à lire un livre ou à écouter de la musique avec les lumières éteintes.Alors, quel genre de musique est le meilleur pour dormir ? En 2015, le compositeur de musique Max Richter a consulté un neuroscientifique au sujet des phases du sommeil et des types de fond sonore qui conviennent à chaque étape du cycle du sommeil. Lire aussi : Ses recherches ont abouti à \"Sleep\", une pièce de huit heures conçue pour accompagner une bonne nuit de sommeil.Son utilisation intensive de schémas sonores répétitifs et de basses fréquences vise à induire un sommeil profond à \"ondes lentes\" - qui est vital pour consolider la mémoire à court terme et structurer l'information dans le cerveau.Mais quel que soit le type de musique que vous choisissez, il est crucial qu'elle soit relaxante pour vous. 4. Pratiquer une bonne hygiène du sommeil Cela ne veut pas dire prendre une douche ou se brosser les dents avant de se coucher - bien que ce ne soit pas non plus une mauvaise idée. Une bonne hygiène du sommeil consiste à créer un contexte idéal pour le sommeil : maintenir un horaire de sommeil régulier, éviter les stimulants et l'alcool, et faire attention à son environnement de sommeil. Nos chambres à coucher devraient être un endroit pour dormir et très peu d'autres choses. La plupart des gens dorment mieux dans une pièce sombre, sans encombrement, fraîche et sans appareils ni distractions. Lire aussi : Peu importe où vous vous trouvez, essayez de passer sans écran pendant au moins une heure avant de vous coucher. En plus de vous garder éveillé et alerte, la plupart des téléviseurs et des téléphones intelligents émettent une lumière bleue électronique qui peut garder votre cerveau éveillé plus longtemps. Si vous écoutez la radio, de la musique ou des balados sur un appareil, utilisez une minuterie de sommeil pour vous assurer qu'il s'arrête de jouer quand il est temps de s'éloigner. 5. Privilégiez votre sommeil Vous avez peut-être entendu des histoires vantardes d'entrepreneurs et de leaders mondiaux qui réussissent à s'en sortir avec quatre heures de sommeil par nuit - mais la vérité est que la plupart des gens ne peuvent certainement pas. Même si vous vous sentez alerte après seulement quelques heures de sommeil, l'effet cumulatif d'un manque de sommeil peut avoir des répercussions sur votre santé physique et mentale. Lire aussi : Le fait de dormir constamment moins de cinq heures par nuit peut augmenter votre risque de crise cardiaque, d'accident vasculaire cérébral ou de cancer, et les statistiques médicales montrent que le manque de sommeil raccourcit votre vie. Assurez-vous d'obtenir les sept à huit heures de sommeil recommandées par nuit en respectant un horaire de sommeil régulier. Cela signifie que vous devez vous coucher et vous réveiller à peu près à la même heure chaque jour - oui, même la fin de semaine ! Regarder : Ces activistes qui troublent le sommeil de Yahya Jammeh"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56696037", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56692556", "doc1": "তিনি জীবনের সাতটি দশক কাটিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়ায়। তবে তাঁর ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বের ছটা, যে কারণে তাকে কেবল একজন স্বামী বলে বর্ণনা করা ঠিক হবে না। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পেছনের এই লোকটি কে, এবং কীভাবে তিনি রানিকে বিয়ে করেছিলেন? স্বামী, কিন্তু রাজা কখনোই নন প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো: ডিউক, যিনি প্রিন্স ফিলিপ নামেও পরিচিত ছিলেন, কখনোই আসলে রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারের লাইনে ছিলেন না। তাঁর বড় ছেলেই রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী। প্রিন্স ফিলিপ কখনোই রাজার উপাধি ধারণ করেন নি। এর কারণ, যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, একজন নারী যদি রাজাকে বিয়ে করেন, তিনি আলংকারিকভাবে রানি উপাধি পান, কিন্তু একজন পুরু��� যখন সিংহাসনে থাকা রানিকে বিয়ে করেন, তিনি কখনো রাজার উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না। যিনি সিংহাসনে আসীন সত্যিকারের রাজা, এই উপাধি কেবল তার। রানি এবং প্রিন্স ফিলিপের চার সন্তান: প্রিন্স চার্লস (৭২), প্রিন্সেস অ্যান (৭০), প্রিন্স এ্যান্ড্রু (৬১) এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড (৫৭)। এই চারজন যখন তরুণ ছিলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ইচ্ছেটাই বেশিরভাগ সময় প্রাধান্য পেত, যেটা তারা নিজেরাই বলেছেন। রাজপরিবারের জীবনীকার ইংগ্রিড সেওয়ার্ড প্রিন্স এ্যান্ড্রুকে উদ্ধৃত করে বলেন, তাদের শৈশবে তারা দরদ শিখেছেন রানির কাছ থেকে, আর দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা শিখেছেন প্রিন্স ফিলিপের কাছ থেকে। তবে প্রিন্স এ্যান্ড্রু একথাও মনে করতে পারেন, কিভাবে তাদের বাবা তাদের ঘুম পাড়ানোর আগে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতেন, অথবা বাচ্চারা যখন রুডইয়ার্ড কিপলিং এর 'জাস্ট সো স্টোরিজ' পড়তো, সেটা শুনতেন। যে দীর্ঘজীবন তিনি পেয়েছিলেন, সেই সময়কালে তিনি তার আট নাতি-নাতনিকে বেড়ে উঠতে দেখেছেন, দশ জন প্রপৌত্র-প্রপৌত্রীর জন্ম দেখেছেন। কোথায় তার জীবন শুরু হয়েছিল? প্রিন্স ফিলিপের জন্ম ১৯২২ সালের ১০ই জানুয়ারী গ্রিসের এক দ্বীপ কর্ফুতে। তিনি ছিলেন গ্রীসের প্রিন্স এ্যান্ড্রু এবং ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস এলিসের কনিষ্ঠতম সন্তান এবং একমাত্র পুত্র। বাবা-মায়ের দিকের এই বংশধারার ফলে তিনি ছিলেন একইসঙ্গে গ্রিস এবং ডেনমার্কের রাজকুমার। কিন্তু এর পরের বছরেই গ্রিসে এক অভ্যুত্থানের পর তাদের পরিবার সেদেশ থেকে বিতাড়িত হয়। গ্রিস থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর প্রিন্সেস অ্যালিসের সঙ্গে শিশু প্রিন্স ফিলিপ একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ তাদের নিরাপদে ইতালি নিয়ে যায়। ফল রাখার এক বাক্সের মধ্যে তৈরি করা বিছানায় বহন করা হয় শিশু ফিলিপকে। কীভাবে তিনি বেড়ে উঠেছেন? ফিলিপের শৈশব ছিল কিছুটা ছন্নছাড়া, একের পর এক বিয়োগান্তক ঘটনার পরিণামে। ১৯৩০ সালে, যখন তার বয়স মাত্র ৮ বছর, তখন তার মাকে মানসিক রোগীদের এক চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়, কারণ তার একের পর এক নার্ভাস ব্রেকডাউন হচ্ছিল। এর পরবর্তী বছরগুলোতে ফিলিপ তার বাবা-মাকে কমই দেখেছেন। তার বাবা এক প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরাতে। তাঁর মায়ের দিকের আত্মীয়রা এসময় ফিলিপের লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পরে তিনি তাদের মাউন্টব্যাটেন নামই যুক্ত করেন ন��জের নামের শেষে। ব্যাটেনবার্গ নামটিই ইংরেজিতে হয়ে যায় মাউন্টব্যাটেন। তার কৈশোর কেটেছে স্কটল্যাণ্ডের এক বোর্ডিং স্কুলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক ছিলেন ইহুদী শিক্ষাব্রতী কার্ট হান। নাৎসীদের নিন্দা করায় জার্মানি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই স্কুলটি ফিলিপের জীবনকে একটা ছাঁচের মধ্যে নিয়ে আসলো, তাকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করলো। স্কুলের নিয়মকানুন ছিল বেশ কড়া। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হতো বেশ তাড়াতাড়ি এবং উঠেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় স্নান করতে হতো। এরপর দৌড়ের মতো নানা রকম শরীরচর্চা। প্রধান শিক্ষক কার্ট হানের ধারণা ছিল, বয়ঃসন্ধিকালের \"বিষাক্ত আবেগ\" ঠেকাতে এটা খুব প্রয়োজন। স্কটল্যাণ্ডের যে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্স ফিলিপ ১৯৩৭ সালে প্রিন্স ফিলিপের চার বোনের একজন, সিসিল এক বিমান দুর্ঘটনায় তার জার্মান স্বামী, শাশুড়ি এবং দুই সন্তান সহ মারা যান। সিসিল তার কিছু আগে নাৎসী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন, যে দলটি পুরো জার্মান রাষ্ট্র পুরোপুরি তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে। ফিলিপের বয়স তখন ১৬ বছর। ডার্মস্ট্যাড শহরের রাস্তা দিয়ে তার বোনের কফিনের পেছনে যখন তিনি হাঁটছিলেন, তখন দুপাশের জনতা 'হেইল হিটলার' স্যালুট দিচ্ছিল। প্রিন্স ফিলিপ পরে এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, তখন আসলে এটাই ঘটেছিল। \"আমাদের পরিবার ভেঙে গেছে, আমার মা ছিলেন অসুস্থ, আমার বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, এবং আমার বাবা তখন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে। আমাকে এই সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছিল।\" ফিলিপের সঙ্গে রানির প্রণয় হলো কিভাবে? প্রিন্স ফিলিপ যখন স্কুল ছাড়লেন, তখন ব্রিটেনের সঙ্গে জার্মানির যুদ্ধ শুরু হওয়ার উপক্রম। তিনি ডার্টমুথের রয়্যাল নেভাল কলেজে যোগ দিলেন। সেখানে তিনি তার ক্লাসের সেরা ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করলেন। ১৯৩৯ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ যখন সেখানে এক সরকারি সফরে গেলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ওপর দায়িত্ব পড়লো রাজার দুই মেয়ে, প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেটের দেখাশোনা করার। তাদের গভর্নেস মেরিয়ন ক্রফোর্ড পরে তার স্মৃতিচারণে বলেছেন, তখন প্রিন্স ফিলিপ নিজেকে বেশ একটু জাহির করছিলেন। ১৩ বছর বয়সী প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে তিনি বেশ ভালো ছাপ রাখতে সক্ষম হন। গর্ডনস্টাউন স্কুলে প্রিন্স ফিলিপের এক বিরল ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রিন্স ফিলিপ বেশ কৃতিত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। তিনি ভারত মহাসাগরে প্রথম বারের মতো লড়াই প্রত্যক্ষ করেন। ১৯৪২ সালের অক্টোবরে তার বয়স যখন মাত্র ২১ বছর, তখন তিনি রাজকীয় নৌবাহিনীর কনিষ্ঠতম এক ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট। কিশোরী রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং নৌবাহিনীর অফিসার ফিলিপের মধ্যে পত্র-যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৩ সালের ক্রিসমাসের সময়টা প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারের সঙ্গে কাটান। এসময় রাজকুমারী এলিজাবেথের টেবিলে শোভা পাচ্ছিল প্রিন্স ফিলিপের ইউনিফর্ম পরা ছবি। এর মাধ্যমে যেন তিনি তার মনের পছন্দ তুলে ধরছিলেন। কিন্তু রাজপরিবারের অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল। অনেকে অবজ্ঞাভরে বলছিল, \"প্রিন্স ফিলিপ বেশ রুক্ষ, ব্যবহার জানে না, অশিক্ষিত এবং সে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না।\" তবে প্রিন্স ফিলিপের জীবনীকার ফিলিপ এইডের মতে, ১৯৪৬ সালে যেসব চিঠি প্রিন্স ফিলিপ লেখেন, তাতে একজন উৎসাহী তরুণ যেন জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছেন এমন ধারণাই পাওয়া যায়। তিনি তার ভাবী শাশুড়িকে লিখেছিলেন, \"আমি জানি, আমার জীবনে ভালো যত কিছু ঘটেছে, তার সবকিছুর উপযুক্ত আমি নই। যুদ্ধ থেকে বেঁচে এসে বিজয় দেখা, বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া এবং নিজেকে নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া, এরপর পুরোপুরি প্রেমে পড়া- এতকিছুর পর নিজের ব্যক্তিগত এবং বিশ্বের তাবৎ সমস্যাকে একেবারেই ক্ষুদ্র মনে হয়।\" ১৯৪৭ সালে বিয়ের আগে বাগদানের পর বাকিংহাম প্রাসাদের বাইরে রানি এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ রাজা জর্জ তার মেয়ের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিয়ের অনুমতি দিলেন। কিন্তু এজন্যে প্রিন্স ফিলিপকে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিতে হলো, তার বিদেশি খেতাব বর্জন করতে হলো এবং চার্চ অব ইংল্যান্ডের অনুসারী হতে হলো। ১৯৪৭ সালের ২০শে নভেম্বর, তাদের বিয়ের দিনে, তাকে ডিউক অব এডিনবারা খেতাব দেয়া হলো। বাকী জীবন তিনি এই নামেই পরিচিত হয়েছেন। বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ২৬, তার স্ত্রীর বয়স ২১। এই দম্পতির কাঁধে রাজকীয় দায়িত্ব এসে পড়ার আগে তারা মাত্র চার বছরের কিছু বেশি সময় পেয়েছিলেন। ততদিনে তাদের দুটি সন্তান হয়েছে। ১৯৫২ সালে কেনিয়ায় তারা যখন এক শিকার অভিযানে ছিলেন, তখন খবর এসে পৌঁছালো রাজা ষষ্ঠ জর্জ, এলিজাবেথের পিতা, ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। এই মুহূর্তটি, যখন ডিউক অব এডিনবারা উপলব্ধি করলেন যে, তার স্ত্রী এখ��� রানি হতে যাচ্ছেন, তার স্মৃতিচারণ করেছেন ডিউকের বন্ধু কমান্ডার মাইকেল পার্কার। \"তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার মাথার ওপর অর্ধেক পৃথিবী ভেঙ্গে পড়েছে। জীবনে আর কোন মানুষের জন্য আমার জীবনে আর এতটা করুণা হয়নি। তিনি বেশ জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলেন। তিনি স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছিলেন, তাদের যে সরল সুখী দাম্পত্য জীবনের বুঝি এখানেই শেষ।\" প্রিন্স ফিলিপ নৌবাহিনীতে আরও উচ্চপদে যাওয়ার যেসব আকাঙ্ক্ষা লালন করছিলেন, সেগুলো বাদ দিতে হলো। নতুন রানি এলিজাবেথ এখন তার স্বামীকে সারাক্ষণ তার পাশে-পাশে চান। শিশুপুত্র চার্লস এবং কন্য অ্যানের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ, ১৯৫০ সালে। ডিউক অব এডিনবারাকে এখন থেকে রানির সঙ্গী বলে ঘোষণা করা হলো। তার প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তার স্ত্রীকে সব কাজে সহযোগিতা-সমর্থন দেয়া। তবে প্রিন্স ফিলিপ চেয়েছিলেন রাজপরিবার তার নামের শেষাংশ, মাউন্টব্যাটেন ব্যবহার করুক। ১৯৫০ এর দশকে এটা নিয়ে বেশ দীর্ঘ বিতর্ক চলে। কিন্তু রানি এলিজাবেথ তার হাউস অব উইন্ডসরের নামই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রিন্স ফিলিপ বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, \"এই দেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি, নিজের ছেলে-মেয়েদেরকে নিজের নাম দেয়ার অধিকার যার নেই। আমি যেন একটা অ্যামিবা।\" রাজপ্রাসাদে তার জন্য যে সীমিত ভূমিকা নির্ধারিত ছিল, তিনি সেটার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাকিংহ্যাম প্যালেসের যে আড়ষ্ট পরিবেশ, সেখানে তিনি নতুন বাতাস সঞ্চারের জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারকে কিভাবে বদলে দিয়েছেন? গ্রিস থেকে যে তাদের পুরো পরিবারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, সেটি প্রিন্স ফিলিপ কখনো ভুলতে পারেন নি। তিনি বিশ্বাস করতেন, রাজতন্ত্রকে টিকে থাকতে হলে ক্রমাগত খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিনি এমন কিছু মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করলেন, যেখানে রানি সমাজের বিভিন্ন পটভূমির মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা রাজভৃত্যদের মাথার চুল রঙ করার রীতি তিনি বন্ধ করলেন। এবং তিনি যখন জানতে পারলেন যে, রাজপ্রাসাদে কেবল রাজপরিবারের সদস্যদের রান্নার জন্য দ্বিতীয় একটি রান্নাঘর চালু আছে, সেটি তিনি বন্ধ করে দিলেন। বাকিংহাম প্রাসাদে ডিনারের আয়োজন এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন ছিল আরও ব্যক্তিগত এবং এতে নানা ধরণের গ্যাজেটের প্রতি তার শিশুসুলভ আগ্রহেরই প্রতিফলন ছিল। অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৯ সালে যখন তারা ক্লারেন্স হাউসে থাকতে আসেন, তখন তিনি সেখানে এমন অনেক যন্ত্রপাতি বসিয়েছিলেন যাতে শ্রম বাঁচবে। এর মধ্যে ছিল এমন একটি যন্ত্র, যেটি লাগানো হয়েছিল তার কাপড়ের আলমারিতে। এই যন্ত্রের বোতাম টেপার সঙ্গে সঙ্গে আলমারি থেকে একটা স্যুট বেরিয়ে আসবে। ১৯৬৯ সালে 'রয়্যাল ফ্যামিলি' নামে এক যুগান্তকারী টেলিভিশন ডকুমেন্টারি বেশ সাড়া ফেলেছিল। ডিউক এই টিভি ডকুমেন্টারির কাজে সহায়তা করেন। এতে দেখা গিয়েছিল, রানি তার ঘোড়াকে গাজর খাওয়াচ্ছেন, টিভি দেখছেন এবং বালমোরাল প্রাসাদের বারবিবিকিউ পার্টিতে সালাদ নিয়ে আলাপ করছেন, আর পাশে প্রিন্সেস অ্যান সসেজ রান্না করছেন। বাকিংহাম প্রাসাদে প্রিন্স ফিলিপ ইন্টারকম বসান, যাতে করে তার হাতে লেখা চিঠি নিয়ে রাজভৃত্যদের বারে বারে রানির কাছে দৌড়াতে না হয়। প্রিন্স ফিলিপ তার নিজের ব্যাগ নিজেই বহন করতেন এবং নিজের রুমে নিজের ব্রেকফাস্ট নিজেই বানাতেন। সেখানে একটি ইলেকট্রিক ফ্রাইং প্যান ছিল। কিন্তু ঘরে গন্ধ হচ্ছে বলে রানি আপত্তি করার পর সেটা তাকে বন্ধ করতে হয়। 'র‍য়্যাল ফ্যামিলি' ডকুমেন্টারির একটি দৃশ্য। এটি তৈরিতে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ তিনি সময় কাটাতেন কীভাবে? ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপ হচ্ছেন কোন রানির সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের সঙ্গী। তিনি মোট ২২ হাজার ১৯১টি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি যখন ২০১৭ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসরে গেলেন, তখন তিনি ৭৮০টির বেশি সংস্থা বা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট বা সদস্য। রানি যখন কমনওয়েলথের কোন দেশ বা অন্য কোথাও রাষ্ট্রীয় সফরে যেতেন, তাকে সাথে যেতে হতো। তিনি ১৪৩টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি ফরাসী এবং জার্মান, এই দুটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তবে তার সবচেয়ে বড় উত্তরাধিকার হিসেবে থেকে যাবে 'ডিউক অব এডিনবারা' পুরস্কার। তার সাবেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুর্ট হানের তাগিদে তিনি ১৯৫৬ সালে এই এটি চালু করেন। ১৪ হতে ২৫ বছর বয়সীরা স্বেচ্ছা-সেবামূলক কাজ, শারীরিক দক্ষতা অর্জন এবং পর্বতারোহণ বা পালতোলা নৌকায় অভিযানে গিয়ে এই পুরস্কার পেতে পারে। ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিশ্বের ১৩০টি দেশের ১৩ লাখ তরুণ-তরুণী। অবসর সময়ে তিনি খেলাধুলা করতেন, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। তিনি তার স্কুল গর্ডনস্টাউনে পালতোলা নৌকা চালাতে শেখেন এবং যুক্তরাজ্যের আইল অব ওয়াইটে যে রেগাটা হয়, সেটিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তিনি ঘোড়ার শকট চালাতে পছন্দ করতেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ছিলেন যুক্তরাজ্যের সেরা চার জন পোলো খেলোয়াড়ের একজন। তিনি পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনের পক্ষেও কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড-লাইফ ফান্ডের (ইউকে) প্রেসিডেন্ট হন। তবে সেবছরই ভারত সফরে গিয়ে একটি শিকার করার বাঘের সঙ্গে তোলা তার ছবি ফাঁস হওয়ার পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। জয়পুরের মহারাজা এবং মহারানির সঙ্গে রানিএলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৬১ সালে এই বাঘ শিকার নিয়ে সমালোচিত হন তিনি। তার নিজের এবং স্ত্রীর দৃষ্টিতে তিনি: ব্রিটিশ জীবনে তার অবদান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর অকপটে তিনি জবাব দিয়েছিলেন: \"আমার যা সেরা, সেটাই আমি করার চেষ্টা করেছি। অনেকে মনে করেন, যার করেছি, ঠিকই করেছি। অনেকে তা মনে করে না। আপনি কী করতে পারেন? আমি যেভাবে কাজ করি, সেটা তো আমি বদলাতে পারবো না। এটাই আমার স্টাইল‍।\" তবে প্রিন্স ফিলিপ বার বার বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তার খোলামেলা মন্তব্য বা অসংবেদনশীল বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে। একবার ১৯৮৬ সালে চীন সফরে গিয়ে তিনি সেখানে একদল ব্রিটিশ ছাত্রকে বলেন, \"এখানে বেশিদিন থাকলে তোমাদেরও কিন্তু চেরা চোখ হয়ে যাবে।\" সমালোচকরা মনে করেন তিনি বেশি বেফাঁস কথা বলেন আর তিনি একেবারেই সেকেলে। তবে যারা তার পক্ষে, তারা যুক্তি দেন যে, তিনি ভিন্ন যুগের মানুষ, একটু রসিকতা করার চেষ্টা করেন। যারা ভেতরের খবর জানেন, তাদের মতে, এই হাস্যরসই আসলে প্রিন্স ফিলিপ এবং রানিকে এক করে রেখেছিল। তবে তিনি নিজে বলেছেন, এক্ষেত্রে সব কৃতিত্ব আসলে রানির সহনশীলতার। প্রিন্স ফিলিপ এবং রানি এলিজাবেথ। ২০০৭ সালের ছবি। রানির সব বক্তৃতা একসময় শুরু হতো, \"আমার স্বামী এবং আমি…\" এই বলে। এটা নিয়ে ১৯৬০ এর দশকে বেশ রঙ্গ-রসিকতা হতো। এরপর তিনি এই কথা বলা বন্ধ করে দেন। তবে আবেগটা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি কেবলই \"আমি।\" তাদের বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে রানি তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন এভাবে: \"বেশিরভাগ সময়, আমার মনে হয়, প্রিন্স ফিলিপকে কেবল আমার বক্তৃতা শুনতে হয়। তবে আমরা কোন বক্তৃতার আগে এটা নিয়ে বেশ আলোচনা করি, এবং আপনারা নিশ্চয়ই ধা���ণা করতে পারেন, তার মতামত আমার বক্তৃতায় সোজাসুজিই প্রতিফলিত হয়। \"তিনি এমন একজন, যিনি সহজে নিজের প্রশংসা গ্রহণ করেন না, কিন্তু সোজা কথায় বলতে গেলে, তিনিই আমার জীবনের সাহস, এত বছর ধরে তিনি এবং তার পুরো পরিবার আমার পাশে আছেন। এই দেশ এবং বিশ্বের আরও অনেক দেশের অনেক ঋণ তার কাছে, তিনি যতটা দাবি করেন, বা যতটা আমরা জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি।\"", "doc2": "Il a passé sept décennies dans l'ombre de sa femme, la reine Elisabeth II du Royaume-Uni, mais sa force de caractère fait qu'il ne sera jamais un simple époux professionnel. Qui était donc cet homme présent aux côtés de la monarque, et comment en est-il venu à épouser la reine ? Un mari mais pas un roi Commençons par le commencement : Le duc, également connu sous le nom de prince Philip, n'a jamais été en lice pour le trône - dont son fils aîné devrait hériter - et n'a jamais porté le titre de roi. En effet, au Royaume-Uni, une femme qui épouse le monarque peut utiliser le titre cérémonial de reine, mais les hommes qui épousent la monarque ne peuvent pas utiliser le titre de roi, qui ne peut être utilisé que par les souverains de sexe masculin. Lire aussi : La reine et le prince Philip ont eu quatre enfants ensemble : le prince Charles, 72 ans, la princesse Anne, 70 ans, le prince Andrew, 61 ans, et le prince Edward, 57 ans. Comme ils le racontent, Philip a souvent exercé sa volonté lorsqu'ils étaient jeunes. Ingrid Seward, biographe royale, cite le prince Andrew qui dit de son enfance : \"La compassion vient de la reine. Et le devoir et la discipline viennent de lui\". Mais Andrew se souvient aussi de la façon dont son père prenait le temps d'inventer des contes à l'heure du coucher, ou d'écouter ses enfants lire les Just So Stories de Rudyard Kipling. Le prince Philip a vécu assez longtemps pour voir grandir ses huit petits-enfants et pour accueillir dix arrière-petits-enfants. Où a-t-il débuté sa vie ? Curieusement, le voyage de Philip vers Buckingham Palace a commencé en 1922, dans un berceau fabriqué à partir d'une boîte d'orange. Il est né le 10 juin 1921 sur l'île grecque de Corfou, le plus jeune enfant et fils unique du prince Andrew de Grèce et de la princesse Alice de Battenberg. Cet héritage fait de lui un prince de Grèce et du Danemark, mais l'année suivante, la famille est bannie de Grèce après un coup d'État. La princesse Alice et le jeune prince Philip, après avoir été exilés de Grèce. Un navire de guerre britannique les a transportés en lieu sûr en Italie, le bébé Philip somnolant dans un lit de fortune faits de cageots à fruits. Quelle a été son éducation ? L'enfance de Philip a été fragmentée et assombrie par une série de pertes. En 1930, alors qu'il avait huit ans, sa mère fut internée dans un centre psychiatrique sécurisé après avoir fait une dépression nerveuse. Philip a peu vu ses deux parents dans les années qui ont suivi. Son père se retira sur la Côte d'Azur avec une maîtresse, et les parents de sa mère au Royaume-Uni aidèrent à l'élever. Il adoptera plus tard leur nom de famille, Mountbatten - une forme anglicisée du nom de famille Battenberg. Un pensionnat écossais, Gordonstoun, lui sert de maison pendant son adolescence. Son fondateur et directeur était le pionnier juif de l'éducation Kurt Hahn, qui avait été forcé de quitter l'Allemagne pour avoir crittiqué les nazis. L'école a donné à Philip une structure et a encouragé son autonomie. Son régime quelque peu spartiate faisait se lever tôt les élèves pour prendre une douche glacée et faire de la course de fond, ce qui, selon Hahn, permettait de combattre les \"passions empoisonnées\" de l'adolescence. Les élèves de l'école Gordonstoun s'attaquent à une course d'obstacles À Gordonstoun, les garçons étaient soumis à un programme d'exercices rigoureux parallèlement à leurs études. En 1937, l'une des quatre sœurs de Philip, Cecilie, meurt dans un accident d'avion avec son mari allemand, sa belle-mère et ses deux jeunes fils. Elle était enceinte à l'époque. Cecilie avait récemment rejoint le parti nazi, qui avait un contrôle quasi-totalitaire de l'Allemagne. Philip, 16 ans, en deuil, a marché dans les rues de Darmstadt derrière le cercueil de sa sœur, devant des foules faisant des saluts \"Heil Hitler\". \"C'est simplement ce qui s'est passé\", a déclaré plus tard le prince Philip à propos de cette époque. \"La famille a éclaté. Ma mère était malade, mes sœurs étaient mariées, mon père était dans le sud de la France. Je devais simplement faire avec. On le fait. On le fait.\" Comment Philip a-t-il courtisé la reine ? Lorsque Philip a quitté l'école, la Grande-Bretagne était au bord de la guerre avec l'Allemagne. Il rejoignit le Britannia Royal Naval College à Dartmouth (l'académie navale du Royaume-Uni), où il se révéla un brillant cadet et fut diplômé en tant que major de sa promotion. Lorsque le roi George VI lui rendit une visite officielle en juillet 1939, Philip fut chargé de divertir ses jeunes filles, les princesses Elisabeth et Margaret. Leur gouvernante, Marion Crawford (employée comme tutrice des princesses), se rappela plus tard que Philip avait \"beaucoup crâné\". Il a fait forte impression sur la jeune Elisabeth, âgée de 13 ans, comme on le verra bientôt. Une photo rare du prince Philip à Gordonstoun, peu avant sa rencontre avec la princesse Elizabeth. Le prince Philip a servi avec distinction pendant la Seconde Guerre mondiale, participant pour la première fois à une action militaire dans l'océan Indien. En octobre 1942, il avait 21 ans et était l'un des plus jeunes premiers lieutenants de la Royal Navy. La princesse adolescente et l'officier sont restés en contact par lettre. Au cours de la période de Noël 1943, après que Philip se soit rendu chez la famille royale, une photographie de lui en uniforme de la marine est apparue sur la table de son dressing. C'était un geste décisif de la part d'une jeune femme réservée mais déterminée. Certains assistants sont sceptiques. Une célèbre blague (attribuée depuis à plus d'un fonctionnaire) prétend que le prince est \"rude, mal élevé, sans éducation et qu'il ne sera probablement pas fidèle\". Mais les opposants ne pouvaient rien faire pour dissuader la future reine. Selon le biographe Philip Eade, les lettres de Philip datant de 1946 révèlent un jeune homme ardent avec un nouveau sens du but de sa vie. Il écrit à sa future belle-mère : \"Je suis sûr que je ne mérite pas toutes les bonnes choses qui me sont arrivées. Avoir été épargné pendant la guerre et avoir vu la victoire, avoir eu la chance de me reposer et de me réadapter, être tombé amoureux complètement et sans réserve, fait que tous les problèmes personnels et même ceux du monde semblent petits et insignifiants.\" La princesse Elizabeth et son futur époux devant le palais de Buckingham en 1947, après l'annonce de leurs fiançailles. Le roi George a donné à Philip la permission d'épouser sa fille. Mais il y a d'abord quelques ajustements à faire. L'ancien prince de Grèce et du Danemark est naturalisé sujet britannique, rejoint officiellement l'Église d'Angleterre et abandonne ses titres étrangers. Le jour de son mariage, le 20 novembre 1947, il est fait duc d'Édimbourg, nom sous lequel il sera connu pour le reste de sa vie. Il avait 26 ans, et sa nouvelle épouse 21. A regarder : La Reine Elizabeth II et le Prince Philip fêtent leurs noces de platine Le couple royal aura un peu plus de quatre ans (et deux enfants) de vie commune avant que le devoir ne vienne frapper. La funeste nouvelle leur parvient dans un pavillon de chasse au Kenya, lors de leur tournée du Commonwealth en 1952. Le roi George VI, le père d'Elizabeth, est mort à 56 ans. Le commandant Michael Parker, ami et secrétaire privé du duc d'Édimbourg, a décrit le moment où il a réalisé que sa femme était désormais reine. \"Il avait l'air d'avoir reçu la moitié du monde sur lui. Je n'ai jamais eu autant de peine pour quelqu'un de toute ma vie. Il respirait lourdement, inspirait et expirait, comme s'il était en état de choc. Il a vu immédiatement que l'idylle de leur vie ensemble avait pris fin.\" Les ambitions navales de Philip sont freinées. La nouvelle reine Elizabeth aurait besoin de son mari à ses côtés. La princesse Elizabeth et le prince Philip avec leur petite fille, la princesse Anne, et leur fils, le prince Charles, en 1950. Le duc d'Édimbourg a été nommé consort de la reine. Sa fonction première était de soutenir sa femme. Une longue dispute a éclaté au début des années 1950 lorsque Philip a voulu que la famille royale prenne son nom de famille, Mountbatten. \"Je suis le seul homme du pays qui n'a pas le droit de donner son nom à ses enfants !\" s'emporte-t-il lorsque la Reine est persuadée de garder Windsor. \"Je ne suis rien d'autre qu'une foutue amibe !\" Philip a eu du mal à trouver un but dans le rôle limité qui lui était dévolu. Mais en tant que pragmatique naturel, il était déterminé à insuffler un air frais dans les couloirs étouffants du palais de Buckingham. Comment Philippe a-t-il changé la monarchie ? Le duc n'a jamais oublié l'exode forcé de sa famille de Grèce, et pense que les monarchies doivent s'adapter pour survivre. Il organise des déjeuners informels où la Reine peut rencontrer des personnes d'horizons divers. Les valets de pied - les serviteurs du palais portant un uniforme traditionnel - ont cessé de se poudrer les cheveux. Et lorsqu'il a appris que le palais gérait une deuxième cuisine exclusivement destinée à nourrir les membres de la famille royale, il en a fait fermer une. Une table préparée pour le dîner au palais de Buckingham Certains changements étaient plus personnels et reflétaient son amour enfantin des gadgets. Avant le couronnement, lorsque Philip et la future reine emménagent à Clarence House en 1949, il installe avec plaisir toute une série d'appareils permettant d'économiser de la main-d'œuvre, dont un dans sa garde-robe qui permet d'éjecter un costume en appuyant sur un bouton. Le duc s'est également fait le champion d'un documentaire de la BBC de 90 minutes intitulé Royal Family, diffusé en 1969 et considéré comme un événement télévisuel marquant. On y voit la reine donner des carottes à son cheval du Trooping the Colour, regarder la télévision et discuter de salade à un barbecue de Balmoral pendant que la princesse Anne prépare des saucisses. Au palais de Buckingham, Philip a fait installer des interphones afin que les domestiques n'aient plus à transmettre de messages écrits à sa femme. Il transportait ses propres bagages et préparait lui-même son petit-déjeuner dans ses chambres avec une poêle électrique - jusqu'à ce que la reine ne s'oppose à cause de l'odeur. Le prince Philip s'est fortement impliqué dans le documentaire révolutionnaire Royal Family. Comment passait-il son temps ? En tant que consort ayant servi le plus longtemps dans l'histoire britannique, le prince a assumé quelque 22 191 engagements en solo. Lorsqu'il s'est retiré des fonctions royales en 2017, il était considéré comme le parrain, le président ou le membre de plus de 780 organisations. Accompagnant la reine globe-trotter lors de tournées du Commonwealth et de visites d'État, il a visité 143 pays à titre officiel, mettant à profit son français et son allemand parfaits. Parmi ces pays figure le Vanuatu, une nation insulaire du Pacifique Sud, où il est vénéré par une communauté de la forêt tropicale comme la réincarnation d'un ancien guerrier. Sur l'île de Tanna au Vanuatu, certains insulaires considèrent le Prince Philip comme une figure sacrée. Mais l'un de ses héritages les plus durables est le Prix du Duc d'Édimbourg, fondé en 1956 à l'instigation de son ancien directeur, Kurt Hahn. Les participants âgés de 14 à 25 ans peuvent obtenir des récompenses en faisant du bénévolat, en apprenant des activités physiques et des compétences, et en entreprenant une expédition comme un trek en montagne ou un voyage en voilier. En 2016, près de 1,3 million de jeunes participaient à ce programme dans plus de 130 pays et territoires dans le monde. \"Si vous pouvez faire en sorte que les jeunes réussissent dans n'importe quel domaine d'activité, a déclaré son fondateur à la BBC, cette sensation de réussite se répandra dans beaucoup d'autres.\" Pendant son temps libre, Philip était un sportif de talent. Il a appris à faire de la voile à Gordonstoun, et est devenu un concurrent régulier de la régate de Cowes, sur l'île de Wight, où des courses de voile sont organisées chaque été. Lire aussi : Il aimait les sports équestres, notamment l'attelage, et faisait partie des quatre meilleurs joueurs de polo du Royaume-Uni au milieu des années 1960. Il était également un militant engagé dans la défense de l'environnement et de la faune sauvage, devenant président du World Wildlife Fund (UK) en 1961 - bien qu'il ait dû faire face à des critiques lorsqu'une photo de lui lors d'une chasse au tigre en Inde avec la Reine est apparue la même année. La Reine (C), entre le Maharaja et la Maharani de Jaipur, en Inde, et le Prince Philip (L) posent avec le tigre qu'il a tué en 1961 Selon ses propres mots, et ceux de la Reine... Lorsqu'on lui demande de résumer sa contribution à la vie britannique, le prince Philip répond avec une franchise typique : \"J'ai simplement fait ce que je pense être le mieux. Certaines personnes pensent que c'est bien. D'autres ne le pensent pas. Que pouvez-vous faire ? Je ne peux pas changer ma façon de faire les choses. Ça fait partie de mon style. C'est juste dommage, ils devront s'y faire.\" Le prince s'est attiré des controverses répétées en faisant des commentaires francs ou racistes, notamment en 1986 lorsqu'il a déclaré à un groupe d'étudiants britanniques en Chine : \"Si vous restez ici plus longtemps, vous aurez tous des yeux bridés.\" Ses détracteurs l'ont jugé sujet à des gaffes et déconnecté de la réalité. Ses défenseurs considèrent le prince comme un produit de son époque qui essayait de partager une blague. Les initiés ont dit que le rire était ce qui maintenait le Prince Philip et de la Reine ensemble. Il a lui-même suggéré que c'était sa tolérance. La reine Elizabeth II et le prince Philip, photographiés en 2007, ont passé sept décennies ensemble. Dans les années 1960 et par la suite, les satiristes se sont moqués de la formule d'ouverture de discours de la Reine, \"mon mari et moi...\", qu'ils qualifiaient d'archaïque et de guindée. Elle a retiré la formule, mais le sentiment est resté. Sa Majesté, désormais simplement \"je\", a résumé le prince Philip dans un discours sincère prononcé à l'occasion de leurs noces d'or. \"Trop souvent, je le crains, le prince Philip a dû m'écouter parler. Souvent, nous avons discuté à l'avance du discours que j'avais l'intention de prononcer et, comme vous pouvez l'imaginer, il a exprimé son point de vue de manière directe\". \"C'est quelqu'un qui n'accepte pas facilement les compliments, mais il a tout simplement été ma force et mon soutien pendant toutes ces années, et moi, ainsi que toute sa famille, et ce pays et bien d'autres, avons envers lui une dette plus grande qu'il ne le prétendrait jamais, ou que nous ne le saurons jamais\". Toutes les photographies sont soumises au droit d'auteur"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50799676", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50982902", "doc1": "সিলেটের ঘরোয়া বাগানের ক্ষেত্রে কাজ করছেন একজন নারী ঠিক এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের একটি এলাকার বাসিন্দাদের, যখন তাদের খাবার ও আয় রোজগারের প্রধান ফসল ধান মৌসুমি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে আগাম অতিবৃষ্টির কারণে তাদের ক্ষেতের সব ধান নষ্ট হয়ে যায়। অথচ ওই বছর বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল আরো দুই মাস পরে। কৃষকদের বেশিরভাগ ফসলই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। যার অর্থ হলো - বছরের বাকি সময়ের জন্য তাদের আর কোন আয় ছিল না, পরিবারের জন্য যথেষ্ট খাবারও ছিল না। বিজ্ঞানীরা বরাবরই সতর্ক করে দিয়ে আসছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের ফসলের চাষাবাদের ওপর এবং খাবারে থাকা পুষ্টিগুণের ওপরেও প্রভাব পড়ছে। বার্লিনের চারিটি-ইউনিভার্সিটি মেডিসিনের জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক এবং পটসড্যাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সাবিনে গাব্রিয়চ বলছেন, ''জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসব মানুষের আসলে কোন ভূমিকাই নেই, কিন্তু তবু তারা এর শিকার হচ্ছে।'' আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: জাতিসংঘের 'রেড-অ্যালার্ট' সাগর-মহাসাগরে কমে যাচ্ছে অক্সিজেন লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের উত্তর মেরুতে বরফ গলে জাহাজ চলাচলের পথ খুলছে? নোবেল ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বাস্থ্য ও জলবায়ু বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার সময় বিবিসিকে তিনি বলেন, ''তারা ভিন্নভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছে, কারণ তারা তাদের জীবিকার উপায় এবং খাদ্য-পুষ্টির উৎস হারিয়ে ফেলছে।\" \"তাদের সন্তানরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে, কারণ তারা দ্রুত বড় হচ্ছে বলেই তাদের পুষ্টিরও বেশি দরকার।'' এমনকি এক-তৃতীয়াংশ নারীর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে দেখা গেছে, আর ৪০ শতাংশ শিশুই মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার। ''অনেক মানুষ আসলে এর মধ্যেই কোনমতে টিকে রয়েছে, তারা অনেক ধরণের রোগে ভুগছে,'' বলছেন অধ্যাপক গাব্রিয়চ। ''তাদের কোন বীমাও নেই।'' বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে বন্যার প্রভাব নিয়ে তিনি একটি গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ২ হাজারের বেশি নারীর সঙ্গে তিনি কাজ করছেন। এই নারীদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন যে, বন্যার কারণে তাদের পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়। সেই ক্ষতি কাটাতে বেশিরভাগ পরিবার যা করেছে, তা হলো অন্যের কাছ থেকে টাকাপয়সা ধার করা। বিশেষ করে সেই সব ব্যক্তির কাছ থেকে - যারা চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে টাকা এনে পরিবারটি ঋণের জালে আটকে পড়ে। গবেষণায় অংশ নেয়া সিলেটের নারীদের অর্ধেকের বেশি বলেছেন যে, বন্যার কারণে তাদের পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই গবেষক দলটি এসব মানুষকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনার উঁচু জমিতে বাগান করতে শিখিয়েছে। এসব জায়গায় তারা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফলমূল এবং সবজি চাষ করতে এবং মুরগি পালন করতে পারছে। অধ্যাপক গাব্রিয়চ বলছেন, ''আমি মনে করি না এর ফলে তাদের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষতি পূরণ হচ্ছে - কারণ ওটা হচ্ছে তাদের জীবিকার প্রধান ফসল। কিন্তু এটা তাদেরকে অন্তত কিছুটা সহায়তা করতে পারছে।'' উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ধানের মতো যেসব খাবারের ওপর বাসিন্দারা নির্ভর করেন, সেখানে যখন এসব ফসলের ভালো ফলন হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব খাদ্যে ততটা পুষ্টি থাকে না। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গ্লোবাল হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্ট্রি ইবি পুষ্টিমান নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, চাল, গম, আলু আর সাবুর মতো খাবারে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মানে হলো, এগুলো জন্মাতে কম পানি লাগে। এটা শুনতে ইতিবাচক শোনালেও ব্যাপারটা তা নয়। কারণ এসব ফসল মাটি থেকে কম পুষ্টি টেনে নিচ্ছে। রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়া অধ্যাপক ইবির গবেষণা দল দেখতে পেয়েছে যে, তারা যেসব ধান নিয়ে গবেষণা করেছেন, সেখানে গতে ৩০ শতাংশ হারে ভিটামিন বি কমে গেছে। এতে গর্ভবতী নারীদের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে যাচ্ছে। তিনি বলছেন, ''বর্তমানে বাংলাদেশ যখন সম্পদশালী হয়ে উঠছে, এখনো দেশটির প্রতি চারজনের তিনজনের দরকারি ক্যালরি আসে চাল থেকে।'' ''কিন্তু অন্য অনেক দেশের বাসিন্দারা তাদের প্রধান খাবার হিসাবে চাল ছাড়াও অন্যান্য অনেক ধরণের খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং চালে পুষ্টি কম থাকলেও তা তাদের ক্ষেত্রে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলে।'' তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মানে হলো রোগব্যাধির প্রকোপও বেড়ে যাওয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কেন গাজার খ্রিস্টানদের বেথলেহেম আসা নিষিদ্ধ হলো? প্রায় ১১ হাজার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ শীতের যেসব রোগ থেকে সাবধান থাকা জরুরি রাশিয়ায় ক্ষমতার ২০ বছর যেভাবে কেটেছে পুতিনের ''মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে। এর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও সংক্রমণ রোগের প্রকোপও বাড়ছে।'' ''আমাদের পৃথিবী যত বেশি উষ্ণ হয়ে উঠছে, ততই রোগব্যাধি বিস্তারের এলাকা বাড়ছে, দীর্ঘসময় ধরে এসব রোগ থাকছে। এসব রোগের বিস্তার অনেক বেশি হচ্ছে।'' ''আর অনেক ক্ষেত্রেই এসব রোগের প্রাথমিক শিকার হচ্ছে শিশুরা। এ কারণেই আমরা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন কারণ তারা ঝুঁকির দিক থেকে সামনের কাতারে রয়েছে। তাদের ওপরেই এসব পরিবর্তনের প্রভাব বেশি পড়ছে।'' যেসব রোগব্যাধি সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় দেখা যেত, এখন সেসব রোগ উত্তরের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছর প্রথমবারের মতো জার্মানিতে ওয়েস্ট নিল ভাইরাসের রোগীর দেখা পাওয়া গেছে, যা একটি মশাবাহিত রোগ। সাবিনে গাব্রিয়চ বলছেন, ''এসব সংক্রমণ রোগের বিস্তারের ফলে মানুষ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের ওপরেও আসতে শুরু করেছে।'' নোবেল বিজয়ী পিটার অ্যাগর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এমন সব এলাকায় এমন রোগ দেখা যাচ্ছে যা আগে দেখা যায় নি এবং নতুন নতুন এলাকায় রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় দেখা যাওয়া কিছু রোগ উঁচু এলাকার দিকেও এখন দেখা যেতে শুরু করেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার মানুষজন সাধারণত রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে উঁচু এলাকায় বসবাস করেন। ২০০৩ সালে রসায়নে নোবেল পাওয়া অধ্যাপক অ্যাগর বলছেন, ''উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, ফলে কারোই আর আরামে বসে থাকার সুযোগ নেই।'' ''একটা জনপ্রিয় প্রবাদ ছিল যে, 'এখানে এটা ঘটবে না'। কিন্তু এখন, সেটা ঘটতে পারে।'' নোবেল মিডিয়া এবি এবং বিবিসির যৌথ উদ্যোগে এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।", "doc2": "C'est l'expérience d'une communauté du Bangladesh, dont la récolte de riz - la source de leur nourriture et de leurs revenus - a été ruinée lorsque les pluies saisonnières sont arrivées tôt. C'est en avril 2017 que les pluies sont arrivées dans le nord-est de la division de Sylhet, ruinant la récolte de riz. Elle aurait dû arriver deux mois plus tard. Les agriculteurs ont perdu la plus grande partie ou la totalité de leur récolte, ce qui signifie qu'ils n'ont plus de revenus - et pas assez de nourriture - pour leur famille. Lire aussi : Les scientifiques avertissent que le changement climatique affecte les cultures que les gens peuvent faire pousser et les nutriments qu'ils obtiennent dans leur nourriture. Sabine Gabrysch, professeur pour les changements climatiques et la santé à l'Université de Heidelberg en Allemagne, a déclaré : \"C'est tellement injuste parce que ces gens n'ont en rien contribué au changement climatique.\" La pêche est menacée par des tempêtes. Lire aussi : \"Ils sont très directement touchés par le changement climatique, car ils perdent alors leurs moyens de subsistance et leurs nutriments\", poursuit-elle. \"Et ce sont leurs enfants qui souffrent le plus, car ils grandissent vite et ont besoin de beaucoup de nutriments,\" explique-t-elle. Même avant les premières pluies, a-t-elle dit, un tiers des femmes étaient en insuffisance pondérale et 40 % des enfants souffraient de sous-alimentation chronique. \"Les gens sont déjà au bord d'une situation où ils souffrent de nombreuses maladies et ne disposent pas de beaucoup de choses à amortir\", a ajouté le professeur Gabrysch. \"Ils n'ont pas d'assurance,\" dit-elle. Lire aussi : Elle dirige une étude sur l'impact des inondations dans la division de Sylhet, et travaille avec plus de 2 000 femmes dans les villages de la région. La moitié d'entre elles ont déclaré que leurs familles ont été gravement touchées par les inondations. La manière la plus courante dont elles ont essayé de faire face à la situation a été d'emprunter de l'argent, principalement auprès de bailleurs qui appliquaient des taux d'intérêt élevés, et les familles se sont alors endettées. L'équipe a donc commencé à apprendre à la communauté à cultiver ses propres aliments dans ses jardins, sur des terrains plus élevés, où elle peut faire pousser des fruits et des légumes plus variés sur le plan nutritionnel et élever des poulets. Jacques Morisset : \"la Côte d’Ivoire est exposée aux effets du changement climatique\". Lire aussi : Le professeur Gabrysch a déclaré : \"je ne pense pas que cela puisse compenser la perte de la récolte de riz honnêtement, parce que c'est leur gagne-pain, mais au moins cela peut les aider dans une certaine mesure.\" Mais même lorsque le riz - et les autres féculents dont dépendent les populations des pays en développement - poussent bien, le changement climatique peut signifier qu'il n'est plus aussi nutritif qu'il l'était. Le professeur Kristie Ebi, du département de santé mondiale de l'Université de Washington, a étudié les niveaux de nutriments. Elle a constaté que des cultures comme le riz, le blé, les pommes de terre et l'orge ont maintenant des concentrations plus élevées de dioxyde de carbone. Cela signifie qu'elles ont besoin de moins d'eau pour pousser, ce qui n'est pas aussi positif qu'on pourrait le croire, car cela signifie qu'elles absorbent moins de micronutriments du sol. Charbon vert made in Niger Les maladies en mouvement Les recherches de l'équipe du professeur Ebi ont révélé que les cultures de riz qu'ils ont étudiées présentaient, en moyenne, une réduction de 30 % des vitamines B - y compris de l'acide folique, crucial pour les femmes enceintes - par rapport aux niveaux normaux. \"Même aujourd'hui au Bangladesh, alors que le pays s'enrichit, trois calories sur quatre proviennent du riz\", dit-elle. \"Dans de nombreux pays, les gens mangent beaucoup de féculents comme composante principale de leur alimentation. Donc avoir moins de micronutriments pourrait avoir des conséquences très importantes,\" affirme-t-elle. Et elle prévient qu'un monde qui se réchauffe signifie aussi que les maladies se déplacent. Lire aussi : \"Il y a des risques majeurs de maladies qui sont portées par les moustiques. Et il y a des risques majeurs de maladies diarrhéiques, et de maladies infectieuses\", ajoute-t-elle. \"Comme notre planète se réchauffe, ces maladies changent leur portée géographique, leurs saisons s'allongent. Il y a plus de transmission de ces maladies\", poursuit-elle. \"Et beaucoup d'entre elles affectent principalement les enfants. C'est pourquoi nous sommes si préoccupés par ce que cela signifie pour la santé des mères et des enfants, car ils sont en première ligne. Ce sont eux qui en voient les conséquences,\" soutient la spécialiste. Les maladies traditionnellement considérées comme tropicales se déplacent vers le nord. Cette année, l'Allemagne a vu les premiers cas de virus du Nil occidental, qui est transporté par les moustiques. Selon Sabine Gabrysch, \"la propagation des maladies infectieuses fait prendre conscience aux gens que le changement climatique nous concerne aussi.\" L'homme qui aide à sauver les mangroves du Sénégal Le lauréat du prix Nobel Peter Agre avertit que le changement climatique signifie que les maladies se déplacent - certaines n'apparaissent pas dans les endroits où elles avaient été établies, et d'autres apparaissent dans de nouveaux endroits - en particulier en se déplaçant vers des altitudes plus élevées à mesure que les températures augmentent, ce qui a été observé en Amérique du Sud et en Afrique. C'est important parce que les habitants des tropiques ont traditionnellement vécu à des altitudes plus élevées pour éviter les maladies. M. Agre, qui a reçu le prix Nobel de chimie en 2003, a averti qu'il ne fallait pas se reposer sur ses lauriers et que les maladies se déplaceraient à mesure que les températures se réchauffaient. \"La phrase célèbre est 'cela ne peut pas arriver ici'. Eh bien, ça peut,\" avertit-il. Climat : alerte mondiale Ce contenu a été créé en tant que coproduction entre Nobel Media AB et la BBC."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51345489", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51516025", "doc1": "চীনের বাইরে ফিলিপিন্সে প্রথম কোন ব্যক্তির করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী ওই চীনা ব্যক্তি হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ‌এসেছিলেন, যেখানে প্রথম ভাইরাসটি সনাক্ত করা হয়েছিল। ফিলিপিন্সে পৌঁছানোর আগেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনশ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার জনেরও বেশি। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রদেশে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ চীন থেকে বিদেশীদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে কিছু সময়ের জন্য তাদের আলাদা করে রাখছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা সার্সের প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০০৩ সালে ২৪টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে নতুন ভাইরাসের মৃত্যুর হার অনেক কম, ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে এটি মারাত্মক নয়। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আরও পড়তে পারেন: ছবিতে উহানের ৩১২ বাংলাদেশির স্বদেশযাত্রা চীন থেকে আগতদের জন্য দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ বিমানবন্দরগুলোয় জ্বর মাপার মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়। এই মৃত্যু সম্পর্কে যা জানা গেছে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপিন্সে গিয়েছিলেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এক চীনা নারী। গত সপ্তাহে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা গেছে বলে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে শুরুতে ওই ব্যক্তিকে রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গুরুতর নিউমোনিয়া দেখা দেয়। ফিলিপিন্সে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রবীন্দ্র আবেসিংহে, সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন: \"করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এটিই প্রথম কোন মৃত্যুর ঘটনা। তবে, আমাদের মনে রাখা দরকার যে স্থানীয় কারও সাথে এমনটি হয়নি। এই রোগী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল থেকেই এসেছিলেন।\" মিঃ ডিউক বলেছেন, \"এই রোগটি প্রতিরোধে বর্তমানে আমরা চীনা দূতাবাসের সাথে কাজ করছি। আর যে ক'জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যায়, সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে।\" ওই ব্যক্তির মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি। এখন ওই ব্যক্তির সাথে কারা একই ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর। যাতে তাদেরকে আলাদা করে রাখা যেতে পারে। ৩১২ জন বাংলাদেশিকে, চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া, ওই ব্যক্তি পরে অন্য যাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন যেমন হোটেল কর্মী, তাদের সবাইকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চীন থেকে আসা বিদেশী যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিলিপিন্স। এর আগে কেবল হুবেই প্রবেশ থেকে আসা ভ্রমনকারীদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল যা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে।", "doc2": "La France a eu 11 cas confirmés de la maladie La victime était un homme de 80 ans de la province chinoise du Hubei, selon la ministre française de la Santé. Il est arrivé en France le 16 janvier et a été placé en quarantaine à l'hôpital de Paris le 25 janvier, a-t-elle déclaré. Seuls trois décès avaient été signalés auparavant en dehors de la Chine continentale - à Hong Kong, aux Philippines et au Japon. Cependant, plus de 1 500 personnes sont mortes du virus en Chine, principalement dans le Hubei où il est apparu pour la première fois. A lire aussi: Coronavirus : les pays africains sont-ils prêts ? Un bébé, âgé de 30 heures, diagnostiqué du coronavirus Le Coronavirus \"une urgence mondiale\" selon l'OMS En outre, 2 641 personnes ont été nouvellement confirmées comme étant infectées, ce qui porte le total de la Chine à 66 492. Que s'est-il passé en France ? Fin janvier, la France est devenue le premier pays européen à confirmer des cas de virus. Elle a eu 11 cas confirmés de la maladie, officiellement appelée Covid-19. Six personnes sont toujours hospitalisées. L'homme décédé était dans un état critique à l'hôpital Bichat, dans le nord de Paris, a déclaré le ministre de la santé. Il est mort d'une infection pulmonaire due au coronavirus. Sa fille de 50 ans fait partie des six personnes hospitalisées du fait du virus, mais elle se rétablit, a déclaré la ministre. Les cinq autres sont des ressortissants britanniques qui ont attrapé le virus dans un chalet de la station de ski des Contamines-Montjoie. Comment les autres pays sont-ils touchés ? En dehors de la Chine continentale, il y a eu plus de 500 cas dans 24 pays. Auparavant, les États-Unis ont déclaré qu'ils envoyaient un avion au Japon pour évacuer les Américains bloqués sur le navire de croisière Diamond Princess, qui est maintenu en quarantaine dans un port japonais. Sur les 3 700 personnes à bord, 218 ont été testées positives pour le virus. L'Australie a également déclaré qu'elle envisageait de retirer ses citoyens du navire. A lire aussi: Le Coronavirus \"une urgence mondiale\" selon l'OMS Coronavirus : à quel point devrions-nous nous inquiéter ? Coronavirus en Chine : deux villes en quarantaine Le ministère égyptien de la santé a confirmé vendredi le premier cas de coronavirus en Afrique. Le ministère a décrit la personne comme un étranger, mais n'a pas révélé sa nationalité. Comment la Chine fait-elle face à la situation ? Malgré la propagation du virus, le ministre chinois des affaires étrangères, Wang Yi, a déclaré samedi que l'épidémie en Chine était désormais \"généralement sous contrôle\". Selon les autorités chinoises, en dehors de la province de Hubei, le nombre de nouvelles infections avait diminué pendant 11 jours consécutifs. Elles ont ajouté qu'il y avait eu une augmentation rapide du nombre de personnes qui s'étaient rétablies. Cependant, les nouveaux chiffres publiés vendredi ont révélé le nombre de victimes parmi le personnel médical du pays. Six travailleurs de la santé sont morts et 1.716 ont été infectés depuis l'épidémie, ont déclaré les responsables. Les autorités locales ont eu du mal à fournir des équipements de protection tels que des masques respiratoires, des lunettes et des combinaisons de protection aux hôpitaux de Hubei. Pendant ce temps, Pékin a ordonné à toute personne retournant dans la ville d'être mise en quarantaine pendant 14 jours sous peine de sanctions. L'Organisation mondiale de la santé entame ce week-end une enquête en Chine sur l'épidémie. A regarder aussi: Coronavirus : la Chine construit un hôpital en 10 jours"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45165586", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45172942", "doc1": "১৯ বছরের লুইস শৈশব থেকে একজন ইউটিউবার ইউটিউবকে যারা নিজেদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে তেমনই একজন লুইস বল। ১৯ বছরের এই তরুণ ইউটিউবার এর মেকআপ সংক্রান্ত টিউটোরিয়াল এবং ছাত্র হিসেবে তার জীবনের প্রতিদিনকার ঘটনা নিয়ে ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগ তাকে ৩ লাখের বেশি অনুসারী এনে দিয়েছে। \"অনলাইনে বেড়ে ওঠা\" পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সে এসব ভিডিও পোস্ট করে আসছে। বিবিসিকে সে জানায় নিজের টিন-এজ সময়টাকে অনলাইনে তুলে ধরা নিয়ে তার কোন অনুশোচনা নেই। \"আমি আমার টিন-এজ বয়সটা অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৯ বছরের প্রতিটি মুহূর্ত অনলাইনে প্রকাশ করেছি। আমি জানি অনেক মানুষই এই বিষয়টাকে ঘৃণা করে কিন্তু আমি পেছনে ফিরে ১৪ বছর বয়সী আমাকে দেখতে ভালবাসি।\" \"খুব অল্প বয়স থেকে সামাজিক মাধ্যম নিয়ে আমার অবসেশন ছিল। আমার বয়স যখন ৮ কি ৯ বছর তখন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আমি আমার পোষা প্রাণীর ছবি তাৎক্ষণিকভাবে তুলে দিতাম।\" এরপর প্রাথমিক স্কুলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ভিডিও ব্লগে। লুইসের ভিডিও যা সম্মিলিতভাবে ১৬ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে যেসব ভিডিওতে তার জামাকাপড় থেকে মেকআপ কিংবা ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া সবকিছুই স্থান পায়। \"ফলাফল না ভেবেই যা খুশি মন্তব্য\" এভাবে একটি কিশোরের 'অনলাইনে বেড়ে ওঠা' অনেকের কাছেই অস্বাভাবিক মনে হলেও এই তরুণ বলছে তার অভিজ্ঞতা ছিল ইতিবাচক। \"অনলাইনে ভিডিও পোস্টিং একজন ব্যক্তি হিসেবে আমার পরিচয় খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছে এবং আমার ব্যক্তিত্বের সেরাটা বের করে এনেছে।\" আরো পড়তে পারেন: দর্শক-দর্শনী দুটোই এখন ইউটিউব বিনোদনে বিজ্ঞাপনী বাজার: ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনা কতটা? ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবে ব্যবসার ওপর করের প্রস্তাব ইউটিউব দেখে হোটেল কক্ষে সন্তান প্রসব করলেন তরুণী নিখোঁজের ৪০ বছর পর স্বজনের কাছে ফেরালো ইউটিউব অনলাইনে সব ইউটিউবারদের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হতে হয়-বলেন এই ইউটিউবার আরও অনেক ইউটিউবারের মত লুইসও সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রলিং এবং লোকজনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য থেকে বাদ পড়েনি। \"অনলাইনে লোকই আমার কাজকে সমর্থন দিয়ে আসছে কিন্তু আরও বহু মানুষ আছে যারা শুধু আমাকেই নয় অন্য ইউটিউবারদেরকেও নিচে নামাতে তৎপর।\" লুইস বলেন ইউটিউবারদের সবাইকেই এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। \"এমন কোন ইউটিউবারের কথা আমি শুনিনি যাকে এ ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হতে হয়নি।\" এই তরুণ আরও যোগ করেন, \" ইউটিউবে লোকজন ফলাফল চিন্তা না করেই যা খুশি তাই বলে বসে।\" \"ইউটিউবের ভিন্ন চেহারা\" নিজের পোস্ট করা ভিডিওগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সম্পাদনা করেন লুইস। কারণ ভিউয়ারের সাথে কথোপকথনের মতো মনে হলে সেই ভিডিও দিতেই সে পছন্দ করে। \"আমি মনে করি ইউটিউবের যে আন-গ্ল্যামারাস দিকটি আছে সে দেখানো জরুরি কারণ তা আপনাকে দর্শকের কাছাকাছি আনবে ।\" বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের জীবনের প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরতে চায় সে। আর ইউটিউবকে সে নিয়েছে একটি \"পূর্ণকালীন কাজ\" হিসেবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কোটা বাতিল চায় কমিটি, দোটানা মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে খাবেন, কিন্তু মেদ জমবে না - কীভাবে সম্ভব? আমেরিকা তুরস্কের পিঠে ছুরি মেরেছে, বললেন এরদোয়ান", "doc2": "\"Grandir en ligne\" a été une expérience positive pour Lewys Lewys Ball est un YouTuber de 19 ans dont les tutoriels de maquillage et les vlogs sur sa vie quotidienne lui ont rapporté plus de 300 000 abonnés. Il publie des vidéos depuis plus de cinq ans et ne regrette pas d'avoir documenté son adolescence en ligne. \"Chaque instant de mes années d'adolescence de 13 à 19 ans a été documenté en ligne, je sais que certaines personnes détesteraient ça, mais j'adore me revoir lorsque j'avais 14 ans\". \"Je suis obsédé par les réseaux sociaux depuis mon plus jeune âge. A 8 ou 9 ans, j'ai créé une chaîne YouTube sur laquelle je mettais des clips de mes animaux\". \"Puis, il y a environ cinq ans, je me suis cassé le bras et j'ai découvert Zoella et tout une communauté, et j'ai vu qu'ils faisaient des vidéos chaque semaine pour un public spécifique\". Une semaine après avoir découvert ces chaînes YouTube, il a publié sa première vidéo, un vlog sur son vécu à l'école primaire. Les vidéos de Lewys, qui ont maintenant 16 millions de vues au total, documentent tout de ses vêtements, de son maquillage aux vacances à l'étranger. Le côté ingrat de YouTube Son adolescence a été relativement atypique par rapport à d'autres, pourtant \"grandir en ligne\" a été une expérience positive pour Lewys. \"Poster des vidéos en ligne m'a aidé à me trouver en tant que personne et à faire ressortir le meilleur de ma personnalité\". A lire aussi : WhatsApp interdit aux moins de 16 ans \"A l'adolescence, ma peau était épaisse. Les commentaires haineux affectent beaucoup d'ados de 14 à 16 ans, mais j'ai de la chance, ça n'a pas été mon cas du tout\". Pour lui, le monde virtuel peut être plus cruel que le monde réel car \"les gens peuvent être gentils en face et dire ce qu'ils veulent en ligne\". \"Sur YouTube, les gens peuvent dire ce qu'ils veulent sans aucune conséquence.\" L'industrie de la beauté Contrairement à beaucoup d'influenceurs, Lewys ne veut pas promouvoir une image irréaliste. \"Sur Instagram, il faut un peu de fluidité, mais c'est vraiment décourageant de voir certaines marques publier ces images alors que les gens se peignent littéralement le visage. A lire aussi : La révolution capillaire \"Quand j'ai commencé et vu tout ce maquillage impeccable en ligne, je ne comprenais même pas comment cela avait été réalisé, aujourd'hui je sais que c'est grâce à la pose, à l'éclairage professionnel et à la caméra. Aujourd'hui, Lewys Ball tente de brosser un tableau honnête de sa vie d'étudiant. Il considère YouTube comme un \"emploi à plein temps\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49540671", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region/2016/07/160707_dallas_shooting", "doc1": "পুলিশের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে আর ১৬জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে পুলিশের কর্মকর্তাও রয়েছেন। ওডেসা আর মিডল্যান্ড শহরের মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় অন্তত একজন বন্দুকধারী মানুষজনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। পুলিশ বলছে, শ্বেতাঙ্গ একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পলাতক আরো একজন সন্দেহভাজনের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই হামলার কোন কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে আর ১৬জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে পুলিশের কর্মকর্তাও রয়েছেন। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০জন নিহত ২০১৮'তে হয়েছে সবচেয়ে বেশি স্কুল হামলা ইহুদিবিদ্বেষী খোলা চিঠির পর সিনাগগে বন্দুক হামলা হতাহতদের এলোপাথাড়ি গুলি করা হয় বলে বলে পুলিশ জানিয়েছে ঠিক চার সপ্তাহ আগে টেক্সাসের আরেকটি শহর এল পাসোতে একজন বন্দুকধারীর হামলায় ২২জন নিহত আর ২৪ আহত হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই হামলা শুরু হয়, যখন মিডল্যান্ড মহাসড়কে একটি গাড়ি থামাতে যান পুলিশের কর্মকর্তারা। তখন ওই গাড়ির চালক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ডাক সেবা বিভাগের একটি ভ্যান গাড়ি চুরি করে চালাতে শুরু করে এবং মানুষজনকে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকেন। তবে ওডেসার একটি সিনেমা হলের সামনে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিহত হন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'এখন আমার কী হবে'- নাগরিকত্ব হারানো জমিরন ট্রেনের ছাদে উঠলে ছাড় নেই, রোববার থেকে কড়া দৃষ্টি আসামের নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ ১৯ লক্ষ মানুষ সরকার কেন চায় কর্মকর্তাদের পরিবার সাথেই থাকুক?", "doc2": "La police est à la recherche d'un ou de plusieurs snipers. Les manifestants protestaient contre les violences policières. La police est à la recherche d'un ou de plusieurs suspects. Deux snipers auraient été repérés par la police. Des manifestations se sont déroulées dans plusieurs villes des Etats-Unis pour dénoncer la mort de deux hommes noirs tués par des agents de police dans le Minnesota et en Louisiane. Le Président Obama a déclaré que les décès par fusillade commis par la police devraient concerner tous les Américains. Il a ajouté que ces problèmes étaient symptomatiques des défis que doit relever le système judiciaire américain."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39866706", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43755172", "doc1": "বরখাস্তকৃত এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। হোয়াইট হাউজ বলছে, মি. ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন মি. কোমি। নির্বাচনের আগেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দেয়া বক্তব্যে মি. কোমি ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে খবর বের হয়। মি. কোমির উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের সাথে তিনি একমত যে মি. কোমি এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন এবং সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মি. কোমির বরখাস্তের বিষয়ে তাদেরকে আগে থেকে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। মি. কোমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মি. কোমিকে দায়ী করেছিলেন মিসেস ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক সংবাদ সংস্থা, পলিটিকোর প্রতিবেদক ড্যানিয়েল লিপম্যান বিবিসিকে বলেন, মি. কোমির পরিবর্তে কে আসবেন, তার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। \"ওয়াশিংটনের সবাই এখন ভাবছে, এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক কি ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার মুখে নিতে পারবেন এবং তার রুশ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে কি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন? যদি এখন ট্রাম্পের নিজের কোন লোককে বসানো হয়... তাহলে অনেক আমেরিকান এখন এফবিআইকে যতটা অবিশ্বাস করে, তার চেয়ে আরো বেশি করবে\"। ৫৬ বছর বয়স্ক মি. কোমিকে চার বছর ���গে এফবিআই-এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তার মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ বছর বাকি ছিল। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যদিও পরবর্তীতে সেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সেসময় ডেমোক্র্যাটরা তার কড়া সমালোচনা করে। কিছুদিন আগে মিসেস ক্লিনটনও তার পরাজয়ের পেছনে মি. কোমির সেই ভূমিকাকে একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।", "doc2": "Fin de Twitter publication, 1 Il a limogé l'ex-directeur du FBI qu'il a limogé et qui vient de publier un livre brutalement critique du président américain, et estime qu'il devrait être poursuivi en justice. \"James Comey a organisé des fuites et est un menteur avéré\", a tweeté le président de bon matin. Il l'a aussi accusé d'avoir \"fait fuiter des information classifié pour lesquelles il devrait être poursuivi\". Comey épingle Trump et la Russie Donald Trump traite l'ancien directeur du FBI James Comey de menteur Dans le livre à paraître mardi, l'ancien directeur du FBI décrit Donald Trump comme un parrain de la mafia. Intitulé A Higher Loyalty (une loyauté supérieure), sous-titré «Vérités, mensonges et leadership», ce livre est considéré comme la vengeance de l'ancien directeur du FBI, limogé le 7 mai 2017 par Donal Trump. Le livre relate chaque entretien entre le président et l'ancien chef du renseignement américain. Connivence avec la Russie: Trump se défend Etats Unis : le patron du FBI limogé par Trump"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50310255", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50304669", "doc1": "বেশিরভাগ মানুষ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি কেনাকাটা করে, তাই এক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে খাদ্যের অপচয় \"এই মুহূর্তে মানবতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ,\" বলেন নিউ ইয়র্কের শেফ ম্যাক্স লা মান্না। \"বেশি উদ্ভিদ, কম অপচয়\" নামে একটি বই লিখেছেন তিনি। এখানে তিনি বলেছেন যে, কেউ কিভাবে চাইলেই এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে পারে। জীবন ধারণের সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে খাবার। \"বাবা একজন শেফ ছিলেন বিধায় বলতে গেলে অনেকটা খাদ্যের দুনিয়ায় বড় হয়েছি আমি। আমার বাবা-মা সবসময় আমাকে খাবার নষ্ট না করতে শেখাতেন,\" বলেন মি: মান্না। \"৯শ কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে, প্রায় প্রতিটি স্তরেই আমরা খাদ্যে অনিরাপত্তার মুখোমুখি হচ্ছি এবং ৮২ কোটিরও বেশি মানুষের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই।\" আরো পড়ুন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কোন খাবার জনপ্রিয়? ঈদে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাংস খাবেন কিভাবে ওয়ার্ল্ড ভিগান ডে: গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় ম্যাক্স লা মান্না নিউ ইয়র্কের খাদ্য অপচয় বিরোধী একজন শেফ যিনি জিরো-ওয়েস্ট নীতি অনুসরণ করেন। আজ খাদ্য সংকট মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা- বিশ্বে উৎপাদিত খাবারের মধ্যে আনুমানিক প্রায় এক তৃতীয়াংশই হারিয়ে যায় বা নষ্ট বা অপচয় হয়। খাদ্যের অপচয��� শুধু খাবারের অপচয় নয়, এর মানে হচ্ছে অর্থের অপচয়, পানির অপচয়, জ্বালানির অপচয়, ভূমির অপচয় এবং পরিবহণের অপচয়। এমনকি আপনার ফেলে দেয়া খাবার জলবায়ু পরিবর্তনেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। ফেলে দেয়া খাবারের স্থান হয় ভাগাড়ে যেখানে এগুলো পচে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। খাদ্য অপচয় যদি কোন দেশ হতো তাহলে এটি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমেরিকা ও চীনের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হতো। এটি ঠেকাতে আপনি যা করতে পারেন তা হলো- কেনাকাটায় স্মার্ট হোন অনেক মানুষই চাহিদার তুলনায় বেশি কেনাকাটা করে। বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অপচয় হয় স্মার্ট কেনাকাটার ক্ষেত্রে আগে একটি তালিকা তৈরি করুন এবং যা যা আপনার দরকার শুধু সেগুলোই কিনুন। বোনাস: আরেকবার বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করার আগে, আগের বার কেনা সব জিনিস ব্যবহারের জন্য একটি পয়েন্ট হিসাব করুন। খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন ভুল ধরণের খাবার ফ্রিজে রাখলে অপচয় বাড়ে খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে অনেক বেশি পরিমাণ খাবার অপচয় হয়। অনেকেই জানেন না যে সবজি এবং ফলমূল কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। এজন্য অনেক সময় ভালোভাবে পাকার আগে কিংবা বেশি পেকে গেলে তারপর সেগুলো সংগ্রহ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - আলু, টমেটো, রসুন, শশা এবং পেঁয়াজ কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এগুলো ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত। পাতাযুক্ত কাণ্ড বা শাক এবং লতানো খাবার পানি দিয়ে রাখতে হবে। রুটি ফ্রিজে রাখা যেতে পারে যদি মনে হয় যে সেগুলো একবারে খেয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। সম্ভব হলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। উদ্বৃত্ত খাবার সংরক্ষণ করুন(আসলে সেগুলোও খেয়ে ফেলুন) বেচে যাওয়া খাবার আবারো খাওয়ার উপযোগী করার অনেক উপায় রয়েছে- যেমন সবজির বেচে যাওয়া অংশগুলো একসাথে মিশিয়ে ভেজে ফেলুন উদ্বৃত্ত খাবার শুধু ছুটির দিনের জন্য রেখে দেয়া উচিত নয়। যদি আপনি অনেক রান্না করেন এবং নিয়মিতই খাবার উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে একটি দিন ঠিক করুন যেদিন আপনি রান্না না করে ফ্রিজে জমে থাকা খাবার খাবেন। খাবার ফেলে দেয়া রোধে এটি অনেক ভালো একটি উপায়। এছাড়া এটি আপনার সময় এবং অর্থ-দুটিই বাঁচাবে। ফ্রিজের সাথে সখ্যতা গড়ুন ফ্রোজেন খাবার সবসময় অপরোধ রোধ করে এবং এগুলো স্বাস্থ্য সম্মতও বটে খাবার সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তা ফ্রিজে রাখা। আর ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে এমন খাবারের তালিকাও বেশ লম্বা। যেমন, সালাদ হিসেবে যেসব সবুজ সবজি খাওয়া হয় সেগুলো সহজেই ফ্রিজে রাখা যায়। ব্যাগ কিংবা কন্টেইনারে করে এসব সবজি রেখে দিন এবং পরে সেগুলো স্মুদি বা অন্য রেসিপির জন্য ব্যবহার করুন। শাক বা লতানো খাবার অলিভ অয়েল আর টুকরো রসুনে মিশিয়ে বরফ তৈরির ট্রেতে করে সংরক্ষণ করা যায়। যা পরে ভেঁজে খাওয়া যায় বা অন্যান্য খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। অতিরিক্ত খাবার যেমন ফার্মে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত কোন খাদ্য পণ্য, স্যুপ বা মরিচের মতো পরিমাণে বেশি হয় এমন খাবারও ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে সব সময় স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে রান্না করা খাবারের চাহিদা পূরণও সম্ভব হয়। দুপুরের খাবার বাসা থেকেই নিয়ে যান বেচে যাওয়া খাবার প্যাকেট করা লাঞ্চ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এতে অপচয় কম হবে। যদিও সহকর্মীদের সাথে খাবার খেতে বাইরে যাওয়া কিংবা পছন্দের কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবারটি খাওয়া বেশ আনন্দদায়ক, কিন্তু এগুলো বেশ দামি এবং এতে খাবার অপচয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। অফিসের মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে সাথে করে নিয়ে যাওয়া খাবার অর্থ সাশ্রয় এবং সেই সাথে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করে সকালে যদি হাতে সময় কম থাকে, তাহলে আগেই উদ্বৃত্ত খাবার ছোট-ছোট কন্টেইনারে করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। এভাবে, আগে রান্না করা এবং মুখরোচক খাবার মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে আপনার হাতের কাছেই থাকবে। বাড়িতেই স্টক তৈরি করুন বাসায় বেচে যাওয়া সবজি দিয়ে স্যুপ রান্না করলে খরচও বেশ কমে আসে খাদ্য অপচয় কমানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে ঘরেই স্টক তৈরি করা। সবজির বিভিন্ন অংশ যেমন উপরের অংশ, ডাটা, খোসা বা অন্য যে কোন অংশ ছোট টুকরা করে কেটে অলিভ অয়েল বা মাখন দিয়ে মেখে তারপর পানি মেশান এবং পরে ফুটিয়ে এগুলো দিয়ে মজাদার সবজি ব্রথ বা স্যুপ তৈরি করা যায়। পারলে সার তৈরি করুন বেচে যাওয়া খাবার দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় জৈব সার উদ্বৃত্ত খাবার পুনরায় ব্যবহার করার একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে এগুলো দিয়ে সার তৈরি করা ,যা গাছের জন্য শক্তির যোগান দেয়। সবার যেহেতু বাড়ির বাইরে সার তৈরির ব্যবস্থা নেই, তাই রান্না ঘর বা অল্প জায়গাতেই সার তৈরির এক ধরণের ব্যবস্থা বা কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার রয়েছে যা প্রায় সবাই চাইলে ব্যবহার করতে পারে। যাদের বড় বাগান রয়েছে তারা চাইলে বাইরেই একটি কম্পোস্টার ব্যবহার করতে পারেন। আর কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার শহরের বাসিন্দা বিশেষ করে যাদের ছোট বাগান বা গাছ রয়েছে তাদের জন্য উপযোগী। ছোট পদক্ষেপ, বড় অর্জন টিকে থাকার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্য অপচয় কমানো, বলেন শেফ ম্যাক্স লা মান্না সবশেষে যেটি বলতে হয় তা হলো, আমরা সবাই চাইলেই খাদ্য অপচয় কমাতে পারি কারণ এর হাজারো রকম উপায় রয়েছে। আপনার বাড়ি থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয় সে সম্পর্কে পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান এই সম্পদ বাঁচাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আপনি সহায়তা করতে পারেন। আপনার কেনাকাটা, রান্না এবং খাওয়ার বিষয়ে ছোট ছোট পরিবর্তন এনে পরিবেশের উপর চাপ কমানো যেতে পারে। আর এটা তেমন কঠিন কিছুই নয়। ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি আপনার খাদ্য অপচয় বহুলাংশে কমিয়ে আনতে পারেন, অর্থ ও সময় সাশ্রয় করতে পারেন, আর কমাতে পারেন প্রকৃতির উপর থেকে কিছুটা চাপ।", "doc2": "On estime qu'un tiers de la nourriture produite dans le monde est gaspillé. Le gaspillage alimentaire \"est l'un des plus grands problèmes auxquels l'humanité est confrontée aujourd'hui\", déclare le chef new-yorkais Max La Manna. Il est l'auteur de \"More Plants, Less Waste\" et nous explique ici comment chacun à son niveau peut aider à réduire ce gaspillage. La nourriture a toujours été l'ingrédient principal de ma vie. Ayant un père chef cuisinier, j'ai grandi dans le monde de la nourriture et de la cuisine. Mes parents m'ont toujours appris à ne jamais gaspiller de nourriture. Sur une planète de près de neuf milliards d'habitants, nous sommes confrontés à l'insécurité alimentaire à tous les niveaux et plus de 820 millions de personnes n'ont pas assez à manger. Max La Manna est un chef new-yorkais qui s'oppose au gaspillage. A lire aussi : Le gaspillage alimentaire est l'un des plus grands problèmes auxquels l'humanité est confrontée aujourd'hui. On estime qu'un tiers de toute la nourriture produite dans le monde est perdu ou gaspillé. Le gaspillage de nourriture ne signifie pas seulement gaspiller de la nourriture : c'est aussi de l'argent gaspillé, de même que l'eau, l'énergie, la terre et les transports. Jeter vos aliments peut même contribuer au changement climatique. Les aliments mis au rebut sont souvent envoyés à la décharge où ils pourrissent et produisent du méthane. Si les déchets alimentaires étaient un pays, il serait le troisième émetteur de gaz à effet de serre après l'Amérique et la Chine. Voici ce que vous pouvez faire pour éviter cela. Le shopping intelligent La plupart des gens ont tendance à acheter plus qu'ils ne peuvent manger, alors dépensez moins et bien. Beaucoup de gens ont tendance à acheter plus qu'il n'en faut. Faire un shopping intelligent permet d'économiser, notamment grâce à une liste de course pour acheter uniquement ce dont vous avez besoin. Bonus : Assurez-vous d'utiliser toute la nourriture que vous avez achetée lors de votre dernière course au marché avant d'acheter d'autres produits alimentaires. Conserver les aliments correctement Mettre les mauvais types d'aliments dans le réfrigérateur peut entraîner une augmentation du gaspillage de nourriture. Un stockage inadéquat entraîne un gaspillage massif de nourriture. Beaucoup de gens ne savent pas comment conserver les fruits et légumes, ce qui peut entraîner une maturation prématurée et, éventuellement, des produits pourris. Par exemple, les pommes de terre, les tomates, l'ail, les concombres et les oignons ne devraient jamais être réfrigérés. Ces articles doivent être conservés à température ambiante. Les tiges des feuilles vertes et des herbes peuvent être submergées dans l'eau. Conservez le pain dans votre congélateur si vous pensez ne pas pouvoir le finir à temps. Faites votre part en choisissant des produits prêts à la consommation à l'épicerie, ou mieux encore, directement de l'agriculteur. Conservez les restes (et mangez-les aussi) Il y a beaucoup de façons d'utiliser les restes d'aliments - par exemple, faire sauter des légumes non consommés à la poêle. Les restes ne sont pas que pour les vacances. Si vous cuisinez beaucoup, et que vous avez régulièrement des restes, prévoyez une journée pour consommer ceux qui se sont accumulés dans le réfrigérateur. C'est un excellent moyen d'éviter de jeter de la nourriture. De plus, vous gagnez du temps et de l'argent. Soyez l'ami de votre congélateur La congélation des repas et des ingrédients réduit les déchets, et vous avez toujours une option saine à portée de main. La congélation des aliments est l'un des moyens les plus faciles de les conserver, et les types d'aliments qui se congèlent bien sont importants. Par exemple, les légumes verts qui sont un peu trop mous pour être utilisés dans votre salade préférée peuvent être placés dans des sacs ou des bols-frigo pour le congélateur et utilisés plus tard dans les smoothies et autres recettes. L'excès d'herbes peut être combiné avec de l'huile d'olive et de l'ail haché, puis congelé dans des bacs à glaçons pour un complément pratique et délicieux aux sautés et autres plats. Vous pouvez congeler les restes de repas, les produits excédentaires de votre kiosque agricole préféré et les repas en vrac comme les soupes et les chilis. C'est une excellente façon de vous assurer d'avoir toujours un repas sain et fait maison à portée de la main. Préparez votre propre déjeuner Manger vos restes sous forme de déjeuner emballé est un moyen de consommer tous les ingrédients dans votre magasin d'alimentation. Bien qu'il soit agréable de sortir déjeuner avec des collègues de travail ou de prendre un repas dans votre restaurant préféré, cela peut aussi être coûteux et contribuer au gaspillage de nourriture. Une façon utile d'économiser de l'argent tout en réduisant votre empreinte carbone est d'apporter votre lunch au travail avec vous. Si vous êtes à court de temps le matin, essayez de congeler vos restes dans des contenants en portions. De cette façon, vous aurez des déjeuners copieux et préparés à l'avance, prêts à partir tous les matins. Faire un bouillon maison Préparer un bouillon maison est une façon économique d'utiliser les morceaux de légumes qui auraient fini à la poubelle. Fouetter un bouillon fait maison est un moyen facile de réduire le gaspillage de nourriture. Faire sauter les restes de légumes, comme le dessus, les tiges, les pelures et tous les autres restes avec un peu d'huile d'olive ou de beurre, puis ajouter de l'eau et laisser mijoter dans un bouillon de légumes aromatique. Faites du compost si vous le pouvez Il existe des composteurs domestiques pratiques qui peuvent être utilisés dans les petites maisons. Le compostage des restes de nourriture est un moyen bénéfique de réutiliser les restes de nourriture, transformant les déchets alimentaires en énergie pour les plantes. Bien que tout le monde n'ait pas de place pour un système de compostage extérieur, il existe une vaste gamme de systèmes de compostage sur comptoir qui rendent cette pratique facile et accessible à tous, même ceux qui ont peu d'espace. Un composteur extérieur peut convenir à quelqu'un qui a un grand jardin, tandis qu'un composteur de comptoir est préférable pour les citadins qui ont des plantes d'intérieur ou de petits jardins d'herbes. Petits pas, grands résultats Réduire le gaspillage alimentaire est un grand défi, selon le chef Max La Manna. En fin de compte, nous pouvons tous réduire notre gaspillage alimentaire, et il y a une infinité de façons de le faire. En pensant davantage aux aliments que votre ménage jette chaque jour, vous pouvez contribuer à créer des changements positifs pour conserver certaines des ressources les plus précieuses de la terre. Le fait de cuisiner et de consommer vos repas vous aidera à réduire votre impact carbone sur l'environnement. Ce n'est pas forcément difficile. Avec un peu d'efforts, vous pouvez réduire considérablement votre gaspillage de nourriture, économiser de l'argent et du temps, et aider à soulager Mère Nature de certaines pressions. Cet article a été publiée sur BBC Earth. De nouvelles poubelles intelligentes permettent de réduire le gaspillage"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49134755", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49117080", "doc1": "আসলেই কি উগান্ডার লাখ লাখ মানুষ ভারতে বাস করছে? শুমারিতে দেখা যাচ্ছে উগান্ডা থেকে আসা মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অভিবাসন বিশেষজ্�� চিনমে থামবে অবশ্য বলছেন কর্মকর্তাদের বড় ভুলের কারণেই এটা হয়েছে। ভারতীয়দের একটা দীর্ঘ যোগসূত্র আছে উগান্ডার সাথে। ১৮৯০ সালে প্রায় চল্লিশ হাজার ভারতীয় (প্রধানত পাঞ্জাবি) কে নেয়া হয়েছিলো অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে উগান্ডায়। তাদের নেয়া হয়েছিলো কেনিয়ার মোম্বাসা থেকে উগান্ডার কাম্পালা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য। পরে ১৯৭২ সালে সামরিক শাসন ইদি আমিনের আদেশে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিলো যে তারা উগান্ডার অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। পরে আশি ও নব্বইয়ের দশকে অনেকে আবার উগান্ডায় ফিরে যান এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরবর্তীতে উগান্ডার অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। দি ঘোস্ট এন্ড দি ডার্কনেস এবং দি লাস্ট কিং অফ স্কটল্যান্ডের মতো হলিউডের ড্রামাগুলোতে এসব প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জেনারেল মোশাররফের ফোনে আড়ি পেতেছিল ভারত ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে? ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় মানতে রাজি না সরকার উগান্ডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের ১৯৭২ সালে সে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো এখন ২০১৯ সালে এসে ভারত ও উগান্ডার মধ্যে তৃতীয় যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে- নাটকীয়ভাবে এটা এসেছে ২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে। প্রতি দশ বছরে এই শুমারি করা হয় তবে এর কিছু তথ্য এখন প্রকাশ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক তথ্য থেকে জানা যায় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা উগান্ডাকে তাদের সর্বশেষ বসবাসের জায়গা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাদের সংখ্যা ২০১১ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৩ জন। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৬৯৪। বেড়ে যাওয়া সংখ্যার মধ্যে নারীর সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭০০ যা আগে ছিলো মাত্র ৩৩৯। আর পুরুষ ৩৫৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৬৩। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পর উগান্ডা থেকেই সবচেয়ে বেশি বা উগান্ডা ফেরত অভিবাসী বেশি হচ্ছে ভারতে। এটা হতে পারে উগান্ডার নাগরিক ভারতে আসছে বা ভারতীয় নাগরিক যারা উগান্ডায় ছিলেন তারা আবার ভারতে ফিরে আসছেন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারে এ ধরণের অভিবাসীর সংখ্যা ২০০১ সালের পাঁচ জন থেকে বেড়ে ২০১১ সালে হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৪। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ চিনমে থামবে বলছেন এ সংখ্যা হতে পার��� শুমারিতে ভুলের কারণে বা এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বৈশিষ্ট্য অগোচরে থেকে যাওয়ার কারণে। দুটি বিষয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি। একটি হলো সংখ্যার মধ্যে ব্যাপক লিঙ্গ অসমতা। আরেকটি বিষয় হলো ৭৭ হাজারের বেশি উগান্ডা অভিবাসী বা সেখান থেকে ফিরে আসা অভিবাসী ভারতে প্রায় দশ বছর ধরে বাস করে আসছিলো। অথচ ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিলো মাত্র ৬৯৪। তাই এখানে কিছু ভুল ছিলো বলে মনে হতেই পারে। আবার শুমারি প্রশ্নমালা ছিলো একটি ছোট ডকুমেন্ট এবং ভারতীয়দের কেউ সর্বশেষ অন্য দেশে বসবাস করলে সেই দেশের নাম তথ্য গ্রহণকারীদের নিজে লিখতে হতো। পরে এসব তথ্য স্ক্যানড হয়ে কম্পিউটার সফটওয়্যারের মধ্যে ডেটা টেবিলে স্থান পেতো। পরে ওই শিটগুলো ওয়েবে আপলোড হয়ে প্রকাশ হয়েছে। তবে একজন সিনিয়র শুমারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, \"অভিবাসীদের বিষয়ে এই সন্দেহজনক তথ্যের বিষয়টি তারা পরীক্ষা করে দেখছেন\"।", "doc2": "Y a-t-il vraiment des dizaines de milliers d'Ougandais de plus en Inde ? Chinmay Tumbe, expert en migration, explique pourquoi cette situation est susceptible d'être le résultat d'une erreur majeure de la part des fonctionnaires. Lire aussi : Le village sous-marin qui émerge une fois par an L'Inde sur les traces des corps des alpinistes disparus Les Indiens ont des liens de longue date avec l'Ouganda. Dans les années 1890, environ 40 000 Indiens, pour la plupart des Punjabis, ont été recrutés comme travailleurs immigrés pour construire le chemin de fer ougandais reliant Mombasa au Kenya à Kampala en Ouganda. Ils ont été contraints de quitter le pays en 1972 sur ordre du chef militaire Idi Amin, qui les a accusés de \"siphoner l'argent de l'Ouganda\". (Beaucoup d'entre eux sont retournés en Ouganda dans les années 1980 et 1990 et sont devenus un pilier de l'économie du pays.) Ces deux aspects ont été abordés dans des films hollywoodiens tels que The Ghost and the Darkness (1996) et Le dernier roi d'Ecosse (2006). Lire aussi: Immigration : le plan Trump Immigration clandestine: 300 algériens interceptés Aujourd'hui, en 2019, une troisième connexion a été établie entre l'Inde et l'Ouganda - et de façon assez spectaculaire, elle provient d'un recensement de l'Inde en 2011. L'exercice exhaustif est mené tous les dix ans, mais certaines données ne sont publiées que maintenant. La population de l'Inde a augmenté de 181 millions de personnes pour atteindre 1,21 milliard au cours de la décennie allant jusqu'en 2011, selon le recensement. D'après les statistiques récemment publiées sur les migrations, le nombre d'Indiens ayant déclaré l'Ouganda comme dernier lieu de résidence est passé de 694 en 2001 à 151 363 en 2011. La hausse a été plus marquée chez les femmes - 339 à 111 700 - que chez les hommes - 355 à 39 663. Les Indiens vivant en Ouganda ont été forcés de partir en 1972. Après le Bangladesh, le Népal, le Pakistan et le Sri Lanka, c'est l'Ouganda en Afrique qui semble être la source de la plus forte immigration ou migration de retour en Inde. Il peut s'agir soit de ressortissants ougandais qui se sont installés en Inde, soit de ressortissants indiens qui vivaient en Ouganda et sont revenus. Contrairement à il y a un siècle, le lien avec le Punjabi est minuscule. Dans l'État d'Uttar Pradesh, au nord, et dans l'État du Bihar, à l'est, le nombre d'immigrants ougandais ou migrants de retour est passé de cinq en 2001 à 94 704 en 2011. Lire aussi: Immigration : l'UE finance la Libye Immigration : Trump \"brise des rêves\" A regarder : Hema, une jeune fille du Sénégal qui adore l'Inde Ces chiffres indiquent qu'il s'agit soit d'une erreur majeure dans les données du recensement, soit de l'un des phénomènes sociologiques les plus remarquables de notre époque. Je crois que c'est une première. Deux indices le montrent. Premièrement, c'est l'explication la plus simple du déséquilibre massif entre les sexes dans les chiffres. En outre, plus de 77 000 de ces immigrants/ migrants de retour - ougandais - ont déclaré qu'ils étaient en Inde depuis plus de dix ans. Mais le recensement de 2001 n'en a recensé que 694 au total. Lire aussi: Berlin et Tunis veulent freiner l’immigration illégale Magic System contre la migration clandestine La population de l'Inde culminera entre 1,6 et 1,8 milliard vers 2060. Il est donc beaucoup plus plausible qu'il y ait eu une erreur. Le questionnaire de recensement est un document court et les recenseurs doivent inscrire le nom du pays sur la feuille si les personnes déclarent que leur dernier lieu de résidence se trouve en dehors de l'Inde. Ces feuilles sont ensuite scannées et un logiciel informatique calcule les données pour générer les tableaux. Ces feuilles de calcul sont ensuite téléchargées sur le Web et diffusées au public. Un haut responsable du recensement a déclaré à la BBC que son bureau examinait \"le chiffre peu probable de la migration[de] l'Ouganda comme dernier lieu de résidence\". Chinmay Tumbe est l'auteur de India Moving : Une histoire de migration Lire aussi: Marine Le Pen, la politique en héritage A regarder: Des hommes mariés de force en Inde"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51889261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52090592", "doc1": "অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে। ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়? 'ইনকিউবেশন' বা প্রাথমিক লালনকাল এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে ভাইরাস। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো) করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে। শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না। ইনকিউবেশনের সময়ের - প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় - স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন। নিরীহ অসুখ অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না। এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে। তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস ভয়াবহ ব্যাধি এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়। যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, \"রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায় শুরু হয়। কীভাবে এটি ঘটছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না।\" ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হওয়াকে নিউমোনিয়া বলে। আপনার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসের ছোট টিউবগুলোয় যদি যাওয়া যেত, তাহলে আপনি হয়তো শেষপর্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের বায়ুথলিতে গিয়ে পৌঁছাতেন। এই থলিগুলোতেই রক্তে অক্সিজেন যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কিন্��ু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র থলিগুলো পানি দিয়ে ভর্তি হতে শুরু করে এবং ফলস্বরুপ শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি করা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যার মত উপসর্গ তৈরি করে। কিছু মানুষের শ্বাস নিতে ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন হয়। চীন থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, এই ধাপে ১৪% মানুষ আক্রান্ত হয়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ফুসফুসের স্ক্যান, নিউমোনিয়া আক্রান্ত অংশ চিহ্নিত করা রয়েছে অতি জটিল রোগ এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬% করোনাআক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অসক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূল সমস্যাটা হয়, এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে। রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি, এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ডাক্তার ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, \"ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে, একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেইল করে।\" এ পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভাইরাসের সাথে পেরে না ওঠে তাহলে তা শরীরের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে। এ পর্যায়ে আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে ইসিএমও বা এক্সট্রা-কোর্পোরেয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি কৃত্রিম ফুসফুস দ্বারা টিউবের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে নিয়ে সেই রক্ত অক্সিজেনপূর্ণ করে আবার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। ইসিএমও মেশিন দিয়ে এক রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে প্রথম মৃত্যু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা ��াওয়া প্রথম দু'জন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, যদিও তারা দু'জনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন। প্রথম যিনি মারা গিয়েছিলেন, ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, এবং ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান। ৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। তাকেও একটি ইসিএমও মেশিনের সহায়তা দেয়া হয়, কিন্তু তবুও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তীব্র নিউমোনিয়া ও সেপটিক শকে মারা যান তিনি।", "doc2": "Malgré les efforts incroyables des scientifiques du monde entier, il y a encore beaucoup de choses que nous ne comprenons pas. Tous les habitants des différents pays du monde semblent faire partie d'une expérience planétaire où scientifiques et autres chercheurs tentent de trouver des réponses. Voici quelques-unes des grandes questions qui sont encore sans réponses. 1 - Combien de personnes ont été infectées ? C'est l'une des questions les plus fondamentales, mais aussi l'une des plus cruciales. Il y a eu des centaines de milliers de cas confirmés dans le monde, mais ce n'est qu'une fraction du nombre total d'infections. Et les chiffres sont encore brouillés par un nombre inconnu de cas asymptomatiques - des personnes qui ont le virus mais ne se sentent pas malades. La mise au point d'un test de détection des anticorps permettra aux chercheurs de savoir si quelqu'un a eu le virus. Ce n'est qu'alors que nous comprendrons dans quelle mesure ou avec quelle facilité le coronavirus se propage. 2 - A quel point il est vraiment mortel? Tant que nous ne connaîtrons pas le nombre de cas, il est impossible d'être certain du taux de mortalité. Actuellement, on estime qu'environ 1% des personnes infectées par le virus meurent. Mais s'il y a un grand nombre de patients asymptomatiques, le taux de mortalité pourrait être inférieur. 3 - Mystère autour des symptômes Les principaux symptômes du coronavirus sont une fièvre et une toux sèche - ce sont ceux auxquels il faut être attentif. Un mal de gorge, des maux de tête et de la diarrhée ont également été signalés dans certains cas et on spécule de plus en plus qu'une perte de l'odorat pourrait en affecter certains. Mais la question la plus importante est de savoir si des symptômes légers, semblables à ceux du rhume, comme un écoulement nasal ou des éternuements, sont présents chez certains patients. Des études ont suggéré que c'est une possibilité et que les gens pourraient potentiellement être infectieux sans savoir qu'ils sont porteurs du virus. 4 - Le rôle des enfants dans la propagation du virus Les enfants peuvent certainement attraper le coronavirus. Cependant, ils développent la plupart du temps des symptômes légers et il y a relativement peu de décès chez les enfants par rapport aux autres groupes d'âge. Les enfants sont normalement des super-propagateurs de la maladie, en partie parce qu'ils se mêlent à beaucoup de gens (souvent dans la cour de récréation), mais avec ce virus, on ne sait pas dans quelle mesure ils contribuent à le propager. 5 - D'où il vient exactement Le virus est apparu à Wuhan, en Chine, à la fin de 2019, où il y avait un groupe de cas dans un marché aux animaux. Le coronavirus, officiellement appelé Sars-CoV-2, est étroitement lié aux virus qui infectent les chauves-souris, mais on pense que le virus a été transmis des chauves-souris à une espèce animale mystérieuse qui l'a ensuite transmis à l'homme. Ce \"chaînon manquant\" reste inconnu et pourrait être une source de nouvelles infections. 6 - Y aura-t-il moins de cas en été ? Les rhumes et la grippe sont plus fréquents en hiver qu'en été, mais on ne sait pas encore si une température plus chaude modifiera la propagation du virus. Les conseillers scientifiques du gouvernement britannique ont averti qu'il n'est pas certain qu'il y aura un effet saisonnier. S'il y en a un, ils pensent qu'il sera probablement plus faible que celui du rhume et de la grippe. Si le coronavirus connaît une baisse importante pendant l'été, les cas risquent d'augmenter en hiver, alors que les hôpitaux doivent également faire face à un afflux de patients atteints des habituels virus de l'hiver. 7 - Pourquoi certaines personnes présentent des symptômes beaucoup plus graves ? Le Covid-19 est une infection bénigne pour la plupart des gens. Cependant, environ 20 % d'entre eux développent une maladie plus grave, mais pourquoi ? L'état du système immunitaire d'une personne semble faire partie du problème, et il se peut qu'il y ait aussi un facteur génétique. La compréhension de ce phénomène pourrait permettre de trouver des moyens d'éviter que les gens aient besoin de soins intensifs. 8 - Peut-on être contaminé deux fois par le coronavirus ? Il y a eu beaucoup de spéculations mais peu de preuves sur la durabilité de l'immunité face au virus. Les patients doivent avoir développé une réponse immunitaire s'ils parviennent à combattre le virus. Mais comme la maladie n'existe que depuis quelques mois, on manque de données à long terme. Les rumeurs selon lesquelles des patients auraient été infectés deux fois pourraient être dues à des tests affirmant à tort qu'ils étaient exempts du virus. La question de l'immunité est essentielle pour comprendre ce qui se passera à long terme. 9 - Le virus va-t-il muter ? Les virus mutent tout le temps, mais la plupart des mutations de leur code génétique ne font pas de différence significative. En règle générale, on s'attend à ce que l'évolution des virus soit moins meurtrière à long terme, mais ce n'est pas garanti. Le problème est que si le virus mute, le système immunitaire ne le reconnaît plus et un vaccin spécifique ne fonctionne plus (comme c'est le cas pour la grippe)."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53656902", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53568230", "doc1": "ঝো লো, নাজিব রাজাক ও রোসমা মনসুর মি. রাজাকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আনা দুর্নীতির সাতটি অভিযোগেই তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। এই দুর্নীতি বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলোর অন্যতম, যার জাল জড়িয়ে পড়েছিল এশিয়া থেকে হলিউড পর্যন্ত । ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ বা ওয়ানএমডিবি একটি রাষ্ট্রীয় তহবিল, যা গঠন করা হয় ২০০৯ সালে যখন নাজিব রাজাক দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। মালয়েশিয়ার জনগণকে সাহায্য করার জন্য গঠিত এই তহবিল থেকে কয়েকশ কোটি ডলার অর্থ হাওয়া হয়ে যায়, বিশ্ব অর্থনীতির কালো গহ্বরে কোথায় হারিয়ে যায় সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ। আমেরিকান এবং মালয়েশীয় কৌঁসুলিরা বলেছেন, এই অর্থ কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির পকেটে গেছে। এছাড়াও তা দিয়ে কেনা হয়েছে বিলাসবহুল ভবন, ব্যক্তিগত জেটবিমান, ভ্যান গগ এবং মনে-র মত বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্ম এবং নির্মাণ করা হয়েছে হলিউডের ব্লকবাস্টার হিট ছবি। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, তহবিল থেকে সরানো হয়েছে সাড়ে চারশো কোটি ডলার, যা গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির পকেটে। এই ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অন্তত ছয়টি দেশ। বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের সন্ধানে তদন্ত চালানো হয়েছে সুইস ব্যাংক থেকে শুরু করে যেসব বিভিন্ন দ্বীপ রাষ্ট্র কর মওকু���ের স্বর্গরাজ্য সেসব দ্বীপের ব্যাংকগুলোতে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মূল কেন্দ্রে। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকা চরিত্র এবং গল্পের প্লট ধারাবাহিক রোমহর্ষক কাহিনির মত মুখরোচক। আন্তর্জাতিক পরিসরে যেসব ক্ষমতাশালী এই অর্থে লাভবান হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাদের কাছে কীভাবে এই অর্থ পৌঁছল তার ওপর ধৈর্য্য ধরে নজর রেখেছিলেন যেসব সাংবাদিক - তাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই রোমাঞ্চকর গল্প। নাজিব রাজাক গল্পের মূল নায়ক মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ২০০৯ সালে \"দৃঢ় এবং সাহসী\" পদক্ষেপ নিয়ে তিনি একটি রাষ্ট্রীয় তহবিল গঠন করেছিলেন। একসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা এই ব্যক্তির ওই সাহসী পদক্ষেপই নয় বছর পর তাকে কালিমালিপ্ত করে এবং তার রাজনৈতিক পতনের কারণ হয়। নাজিব রাজাককে বুঝতে হলে তার শিকড়ের দিকে আগে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তিনি মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী আবদুল রাজাকের বড় ছেলে এবং দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাইপো। রাজনৈতিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। ২০০৯ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, এবং মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে ৫০ বছরের ওপর আধিপত্য করা দলের প্রধানের দায়িত্ব নন, তখন কেউই বিস্মিত হয়নি। বরং সবাই জানত রাজনৈতিক বংশ পরম্পরায় এটাই ছিল তার ভবিতব্য। একটা সময়ে মি. নাজিব এবং বারাক ওবামা একসাথে গল্প খেলতেন মি. নাজিব তার মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষা শেষ করেন যুক্তরাজ্যের নামকরা বেসরকারি স্কুল মালর্ভান কলেজে। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পখাতের অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ইসলামের \"মধ্যপন্থা\"কে গুরুত্ব দিয়ে তার কথাবার্তার কারণে তিনি ডেভিড ক্যামেরন এবং বারাক ওবামার মত পশ্চিমা নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। জুলাইয়ের ২৮ তারিখে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রথম সাতটি দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতা অপব্যবহারের দায়ে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এবং অর্থ সাদা করা ও বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে ছয়টি মামলার প্রত্যেকটির জন্য ১০ বছর করে তাকে জেল দেয়া হয়। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ডেভিড ক্যামেরন ও নাজিব রাজাক সবগুলো কারাদণ্ডাদেশ একসাথে প্রযোজ্য হবে, তবে আপিল না করা পর্যন্ত এসব সাজা খাটা স্থগিত রাখা হচ্ছে। \"সব সাক্ষ্য��্রমাণ বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে,\" কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে বলেছেন বিচারক মোহামেদ নাজলান মোহামেদ ঘাজালি। মি. নাজিব রায়ের পর সাংকাদিকদের বলেছেন, \"আমি অবশ্যই রায়ে সন্তুষ্ট নই।\" \"এটাই চূড়ান্ত রায় নয়, আপিল প্রক্রিয়ার পথ রয়েছে এবং আমাদের আশা আপিলে আমরা সফল হব,\" তিনি বলেন। রোসমা মনসুর নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোসমা মনসুরের খরচের অভ্যাসকে তুলনা করা হয় ফিলিপিন্সের ইমেলডা মার্কোস আর ফ্রান্সের রানি মারি আন্তোনেতের সাথে। তার স্বামী ক্ষমতা হারানোর পর ৬৭ বছর বয়স্ক রোসমা মনসুরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকি দেবার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। মালয়েশিয়ায় তার বিলাসবহুল জীবন নিয়ে ঠাট্টামস্করা করা হয়। সাধারণ মানুষকে যে দুমুঠো খাবারের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় সে বিষয়ে তার কোন ধারণাই নেই বলে কড়া সমালোচনা আছে। ২০১৮ সালে তার ও তার স্বামীর নামে কিছু ভবনে পুলিশের অভিযান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরাট আলোড়ন ফেলে। তখন এরকম ছবি দেখা যায় যে সুপারমার্কেটে বাজার করার ট্রলি ভর্তি হয়ে আছে ৫০০টি দামী হাতব্যাগ, শত শত ঘড়ি আর ২৭কোটি ৩০ লক্ষ ডলার মূল্যের ১২ হাজার বিভিন্ন রকম গহনায়। এসব ছবি দেখে মালয়েশিয়ার মানুষের মনে আর সন্দেহ থাকে না যে নাজিব রাজাক পরিবার চরম বিলাসী জীবন যাপন করছে। \"তিনি অভদ্র নন, কিন্তু বন্ধুসুলভ বা মিশুকেও নন। মানুষ হিসাবে তিনি দাম্ভিক, উদ্ধত,\" বলেছেন মালয়েশিয়ায় রয়টার্স বার্তা সংস্থার সাংবাদিক রোজানা লতিফ। \"যেসব দিন রোসমাকে জেরার জন্য ডাকা হতো, সেসব দিন তিনি কী পরে আসছেন, কোন হাতব্যাগ নিয়ে আসছেন,\" এসব জল্পনা থাকত তুঙ্গে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশ রোসমা মনসুর আর নাজিব রাজাককে ২০১৮র নভেম্বর থেকে পুলিশের জব্দ করা শতশত হ্যান্ডব্যাগ, ঘড়ি, ঘড়ির অনুষঙ্গ এবং চশমা সশরীরে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়। এইসব জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, কারণ ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির সাথে জড়িত অবৈধ অর্থ দিয়ে বা অসৎ উপায়ে এসব জিনিসের মালিক তারা হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাদের আইনজীবী অনুরোধ জানানোর পর মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট এসব জিনিস তাদের দেখার অনুমতি দেয়। কিন্তু তারা এখন যুক্তি দেখাচ্ছেন, যে মোড়কের বা বাক্সের ভেতরে জিনিসগুলো ছিল সেগুলো খুলে ফেলার কারণে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে এগুলো কীভাবে তারা পেয়েছিলেন সেটা প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন এবং সেটা বিশ্বাসযোগ্য করাও এখন শক্ত হবে। তারা এমন কথাও বলছেন এসব জিনিস মূল প্যাকেট বা বাক্স থেকে বের করে ফেলায় সেগুলো এখন নষ্টও হয়ে যেতে পারে। ঝো লো কর্মব্যস্ত দ্বীপ পেনাং-এর বাসিন্দা চীনা বংশোদ্ভুত মালয়েশীয় অর্থব্যবসায়ী লো তায়েক ঝো সকলের কাছে বেশি পরিচিত ঝো লো নামে। মালয়েশিয়ান এবং আমেরিকান তদন্তকারীরা বলেছেন এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মূল হোতা তিনিই। এই রাষ্ট্রীয় তহবিল সংশ্লিষ্ট কোন পদে তিনি কখনই ছিলেন না। কিন্তু এর কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতি নিয়ে ২০১৮ সালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই 'বিলিয়ন ডলার হোয়েল'-এর লেখক সাংবাদিক ব্র্যাডলি হোপ আর টম রাইট বলেছেন ঝো লো ছিলেন ঝানু ব্যবসায়ী আর তার পরিচিত বিশিষ্ট মানুষের গণ্ডীটা ছিল বিশাল। এ বইয়ে তারা লিখেছেন সে কারণেই কীভাবে তিনি এই দুর্নীতির জাল এতটা ছড়াতে সফল হয়েছিলেন। \"ঝো লো এই ওয়ানএমডিবি ঘটনার সবচেয়ে বড় ওস্তাদ, সব নাটের রহস্যময় গুরু,\" বিবিসিকে বলেছেন মি. হোপ। \"গোড়া থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে এই তহবিলের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের মাঝে যোগাযোগের সূত্র হলেন ঝো লো এবং এই গোটা কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রকল্পের সমস্ত খুঁটিনাটি একমাত্র যে একজন ব্যক্তির নখদর্পণে ছিল তিনি হলেন ঝো লো।\" আমেরিকান কৌঁসুলিরা বলছেন মি. লো রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সাথে তার যোগাযোগ ব্যবহার করে কোটি কোটি ডলার ঘুষের বিনিময়ে এই ওয়ানএমডিবি প্রকল্পের জন্য ব্যবসা নিয়ে আসতেন। তারা বলছেন আমেরিকার অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েকশ কোটি ডলার ধোলাই করা হয়েছে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে কেনা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কিছু বিলাসবহুল ভবন, বিখ্যাত বহুমূল্য চিত্রকর্ম এবং তৈরি করা হয়েছে হলিউডের বিশাল বাজেটের ছবি। ঝো লোর বিলাসবহুল ২৫ কোটি ডলার মূল্যের বিশাল প্রমোদতরী ব্যবসার সাথে জাঁকজমকপূর্ণ বিনোদনকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ানোর জন্য সুপরিচিত ছিলেন ঝো লো। বিশাল অর্থব্যয়ে চোখ ধাঁধানো পার্টির আয়োজন, আরব রাজপরিবারের উঁচু মহলের সাথে ঘনিষ্ঠতা আর প্রথম সারির তারকাদের সাথে দহরম-মহরম তাকে দ্রুত সাফল্যের শিখরে উঠতে সাহায্য করেছিল। ২০১২ সালে আমেরিকার লাস ভেগাসে আয়োজিত ঝো লোর এক জন্মদিনের পার্টিতে এমন একটা কেক তৈরি করা হয়েছিল যে কেক-এর মধ্যে থেকে হঠাৎ আর্বিভূত হয়ে অতিথিদের চমকে দিয়েছিলেন আমেরিকান তারকা ব্রিটনি স্পিয়ারস্। এই দুই সাংবাদিক তাদের বইয়ে এমন আভাসও দিয়েছেন যে, একটা সময়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ নগদ অর্থ ছিল এই ব্যক্তির হাতে। কিন্তু নাজিব রাজাকের সরকার পতন মি. লো-র জন্য চরম দুসংবাদ ছিল। তিনি ক্ষমতা হারানোর পর মি. লো-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আনা হয় এবং পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ তাকে খুঁজছে। বর্তমানে তিনি পলাতক- তিনি কোথায় আছেন কেউ জানে না, কিন্তু তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন। তার আইনজীবীরা বলছেন মালয়েশিয়াতে মি. লো ন্যায় বিচার পাবেন না। \"ঝো লো খুবই উদ্যমী ছিলেন। একদিকে তিনি যেমন কোন কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতেন, অন্যদিকে তেমনি আবার খুবই গা-ছাড়া ভাব ছিল তার। অন্যের অর্থ দিয়ে দ্রুত নিজের একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই তার তড়িঘড়ি পরিকল্পনা আর সাফল্যের জন্য ব্যস্ততা শেষ পর্যন্ত টেকসই হয়নি,\" বলেন সাংবাদিক ও লেখক মি. হোপ। টিমোথি লেইসনার দক্ষ জার্মান ব্যাঙ্কার- বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্সের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। যখন এই সংস্থা এশিয়ায় তাদের ব্যবসা প্রসারিত করে, সেসময় এশিয়ায় সংস্থাটির শীর্ষ প্রতিনিধি ছিলেন মি. লেইসনার। ২০০৮-এর অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর, টিমোথি লেইসনার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়- বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় যেসব আর্থিক চুক্তি করেছিলেন, তার থেকে ব্যাঙ্কটি বিশাল পরিমাণ রাজস্ব লাভ করেছিল এবং ফলশ্রুতিতে মি. লেইসনারের পদোন্নতি হয়েছিল। তিনি গোটা এলাকায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যবসা এসেছিল যখন তার সাথে পরিচয় হয় ঝো লো-র। যিনি ওয়ানএমডিবি প্রকল্পের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী খেলোয়াড় ছিলেন বলে অভিযোগ। বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স প্রথমদিকে মি. লো-র অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তাকে ক্লায়েন্ট হিসাবে নাকচ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকান অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতাশালী রাজনীতিকদের সাথে মি. লো-র যোগাযোগ ব্যবহার করে মি. লেইসনার এবং গোল্ডম্যান স্যাক্সের আরেকজন ব্যাঙ্কার রজার ই্যং সংস্থাটির জন্য বড় ব্যবসা জোগাড় করেন। ব্যাঙ্কটি ২০১২ এবং ২০১৩য় ওয়ানএমডিবি তহবিলের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের তিনটি বন্ড বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয় যার জন্য তারা ফি বাবদ আয় করেছিল ৬০ কোটি ডলার। অর্থ ধোলাইয়ের ষড়যন্ত্রে অংশ নেবার এবং বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙার দায়ে আনা আমেরিকান অভিযোগে মি. লেইসনার দোষ স্বীকার করেন। মালয়েশিয়াতেও মি. লেইসনার, মি. ই্যং এবং গোল্ডম্যানের ১৭জন সাবেক ও বর্তমান ব্যাঙ্কারকে অভিযুক্ত করা হয়। ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। জুলাই ২০২০য়ে গোল্ডম্যান স্যাক্স এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তাদের ভূমিকার জন্য মালয়েশীয় সরকারের সাথে ৩৯০ কোটি ডলারের একটি আপোষরফা করে। দেশটির রাষ্ট্রীয় তহবিলের জন্য ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহের সময় বিনিয়োগকারীদের ভুল তথ্য দেয়ার যে অভিযোগ মালয়েশীয় সরকার এনেছিল সেই মামলায় এই অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে গোল্ডম্যান। তারকারা মিরান্ডা কার, প্যারিস হিলটন ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও লোকে বলে অর্থ কথা বলে, কিন্তু তারকারা কি অর্থের বিনিময়ে আরো জোর গলায় কথা বলেন? মালয়েশিয়ার ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িয়ে নেই শুধু ক্ষমতাশালী রাজনীতিক আর অর্থ ব্যবসায়ীরা। পলাতক ব্যবসায়ী ঝো লো প্রায়ই হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের সাথে পার্টি করে বেড়াতেন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অনিয়মের কোনরকম অভিযোগই আনা হয়নি। কিন্তু মি. লো-র সাথে তাদের সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর সেই ছবিটি অভিনেতা লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও-র সাথে ঝো লো (ডানে) - ২০১৩-র ৯ই ডিসেম্বর প্যারিসে 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট' চলচ্চিত্রের বিশ্ব প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে অস্কার খ্যাত তারকা ডিক্যাপ্রিও ২০১৩ সালের ছবি 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট'এ অভিনয় করেছিলেন, যেটির সহ-প্রযোজক ছিলেন এবং অর্থ দিয়েছিলেন রোসমা মনসুরের ছেলে ও নাজিব রাজাকের সৎ-ছেলে রিজা আজিজ। লোভ ও দুর্নীতি নিয়ে তৈরি এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ডিক্যাপ্রিও গৌরবময় গোল্ডেন গ্লোব সবসেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তি��ি পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মি. আজিজ এবং মি. লো-কে ধন্যবাদ জানান। আমেরিকান কৌঁসুলিরা বলেছেন এই দুর্নীতির অর্থ দিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছিল। প্রযোজক কোম্পানি রেড গ্র্যানাইট আমেরিকান সরকারকে দেওয়ানি মামলায় ছয় কোটি ডলার দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে। তারা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে ২০১৯ সালে মি. আজিজকে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং অর্থ সাদা করার পাঁচটি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে তছরুপ করা প্রায় ২৫ কোটি ডলার তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনি অবশ্য সবগুলো অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ডিক্যাপ্রিও, ইতোমধ্যে আমেরিকান কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম, যেটি মি. লো তাকে উপহার দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী বন্ধু কাসিম ডিন এবং আলিসিয়া কিইস সঙ্গীতশিল্পী বন্ধু কাসিম ডিন এবং আলিসিয়া কিইস-এর সঙ্গে ঝো লো উচ্চাকাঙ্ক্ষী রেকর্ড প্রযোজক এবং তার সুপারতারকা স্ত্রী একসময় ঝো লোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তার বহুল আলোচিত সব জমকালো পার্টিতে মি. লো-র সাথে তাদের ফটো প্রায়ই দেখা যেত। লাস ভেগাসে মি. লো-র ৩১ বছরের যে জন্মদিনের পার্টিতে কেক ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স, সেই পার্টিতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মি. ডিন। বলা হয় শিল্পকলা মহলের বিত্তশালীদের সাথে মি. লো-র পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী। এই পরিচয়ের সূত্রেই মি. লো ভ্যান গগের একটি এবং মনে-র দুটি চিত্রকর্ম কিনেছিলেন ওয়ানএমডিবি তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে। প্যারিস হিটলনের সাথে পার্টি বিত্তশালী আরেক নারী, এই হোটেল মালিকও ছিলেন মি. লো-র ঘনিষ্ঠ মহলের আরেকজন। তাদের আলাপ ২০০৯য়ে। পাপারাৎসি ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবিতে দুজনকে অনেকবার একসাথে দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা পার্টিতে। জুয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিখ্যাত সব স্কি রিসোর্টের বরফ ঢাকা ঢালে। দুজনের একসাথে বেশ কিছু সেলফি ছবিও দেখা গেছে। মিরান্ডা কার এবং এলভা সিয়াও-র সাথে ঘনিষ্ঠতা এদের একজন অস্ট্রেলিয়ান সুপারমডেল এবং অন্যজন তাইওয়ানের গায়িকা ও নায়িকা। দুজনেই একসময় ছিলেন ঝো লো-র বান্ধবী। মিরান্ডা বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে উচ্চ আয়ের মডেল। তার সাথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রম��দতরীতে ১০দিন ধরে ঘুরে বেড়ানো এবং পরপর বেশ কিছুদিন ঘনিষ্ঠ মেলামেশার পর মি. লো তাকে যেসব উপহার দেন তা চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবার মত। যেমন দশ লাখ ডলার মূল্যের একটা বিশাল পিয়ানো বাদ্যযন্ত্র, যেটি কাঁচের মত স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক দিয়ে তৈরি অর্থাৎ যেটার মধ্যে দিয়ে দেখা যায়। এছাড়াও ১১ ক্যারেট হীরার নেকলেস ও দুল। মিস কার অবশ্য পরে আমেরিকান কৌঁসুলিদের কাছে কয়েক কোটি ডলার মূল্যের গহনা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিলিয়ন ডলার হোয়েল বইতে বলা হয়েছে, মি. লো তাইওয়ানী গায়িকা এলভাকে দুবাইয়ে ১০ লাখ ডলার খরচ করে ছুটি কাটাতে নিয়ে যান, সেখানে ব্যক্তিগত সমুদ্র সৈকতে বসে তারা নৈশ ভোজ করতেন। সাংবাদিকরা সাংবাদিক ব্র্যাডলি হোপ, ক্লেয়ার রিউকাসেল- ব্রাউন এবং টম রাইট এই বিশাল দুর্নীতির কথা ও এর ব্যাপকতা কখনই মানুষ জানতে পারত না, যদি না বেশ কিছু সাংবাদিক বছরের পর বছর এই কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানে লেগে না থাকতেন। তারা একটার পর একটা খবরের বোমা ফাটিয়েছেন এবং তাদের ধৈর্য ও চাপ এই তহবিলের কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে বাধ্য করেছে। ক্লেয়ার রিউকাসেল-ব্রাউন, দ্য সারাওয়াক রিপোর্ট প্রায় এক যুগ আগে মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভুত এই ব্রিটিশ সাংবাদিক মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিকদের নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। বাচ্চাদের রাতে ঘুম পাড়িয়ে তিনি লন্ডনে তার রান্নাঘরে তথ্য অনুসন্ধানের কাজে বসতেন। তার সারাওয়াক রিপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রথমদিকে তিনি নজর দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার একটি রাজ্যে কিছু অস্বচ্ছ কাজকর্মের ঘটনা ওপর। এরপর ওয়ানএমডিবি-র প্রথমদিকে যখন সারাওয়াকে একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়, তখন তিনি ওই চুক্তির দিকে নজর দেন, কারণ তার মনে হয়েছিল এতে \"খুবই সন্দেহজনক একটা সংস্থা\" জড়িত আছে। এরপর, ২০১৩-র শেষ দিকে একজন তাকে গোপনে জানায় নাজিব রাজাকের সৎ-ছেলে হলিউডের 'দ্য উল্ফ অফ ওয়াল স্ট্রিট' ছায়াছবিটি প্রযোজনা করেছেন। \"তখনই আমি খোঁজখবর করতে শুরু করি,\" তিনি বলেন। \"আমার শুধু মনে হয়েছিল এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টোরি।\" এরপর আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতে নিতে যেসব তথ্য তিনি পেলেন এবং খবর করলেন, মালয়েশিয়ার পাঠক সেসব গোগ্রাসে পড়েছিল। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ মিডিয়া এই খবর হয় করতে সক্ষম ছিল না নয় করতে চায়নি। রিউকাসেল-ব্রাউন ২০১৫র গোড়ার দিকে সুইজারল্যান্ডের একজন হুইসল ব্লোয়ার জাভিয়ের জাস্টোর কাছ থেকে ২ লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার কিছু দলিল পান এবং তার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ তোলেন ওয়ানএমডিবি-র এক চুক্তি মোতাবেক ঝো লো নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৭০ কোটি ডলার জমা পড়েছে। এর কয়েক মাস পর \"চাঞ্চল্যকর তথ্য!\" শিরোনামে তিনি বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে খবর করেন ২০১৩ সালে ওই ৭০ কোটি ডলার জমা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তার ওয়েবাসইট ব্লক করে দেয় এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য শমন জারি করে। \"সারা পৃথিবী থেকে লোকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে তথ্য দিচ্ছিল। অবশ্যই সেগুলো সঠিক কিনা সেটা সাংবাদিক হিসাবে যাচাই করে দেখা আমার দায়িত্ব ছিল,\" তিনি বলেন। \"এই অভিযোগ নিয়ে ঘটনা যখন তুঙ্গে, তখন লন্ডনে আমাকে ধরার জন্য গুণ্ডা লাগানো হয়, তারা আমাকে অনুসরণ করত, আমার ছবি তুলত... আমাকে পুলিশে খবর দিতে হয়েছিল।\" টম রাইট ও ব্র্যাডলি হোপ, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই দুই সাংবাদিক তাদের বই বিলিয়ন ডলার হোয়েল-এ ঝো লো-র কার্যকলাপের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিস্তারিত তুলে ধরেন। বইটি মালয়েশিয়ায় রেকর্ড বিক্রি হয়। তারা দুজনে কয়েক বছর ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জন্য ওয়ানএমডিবির আর্থিক লেনদেনের খবর নিয়ে অনসুন্ধানমূলক সাংবাদিকতা করছিলেন। \"কিন্তু সাধারণত ২০০০ শব্দের বেশি খবর লিখলে কেউ তা পড়ে না। এই শব্দসীমা বজায় রাখতে গিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর খুঁটিনাটি আমাদের বাদ দিতে হচ্ছিল,\" মি. হোপ বলেন। \"আমরা জানতাম এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু বিশেষ করে ঝো লো-র সম্পর্কে এত সাড়া জাগানো তথ্য ছিল তা আর্থিক কেলেঙ্কারির থেকেও বেশি রসালো।\" মি. হোপ বলেন এই কেলেঙ্কারি মালয়েশিয়ার জন্য যে কী বিশাল এই বই তারই দলিল। \"দেশটিতে এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু বইয়ে আমরা যেভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে এই দুর্নীতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছি, তাতে স্পষ্ট বলা যায় ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বড় একটা আর্থিক দুর্নীতি।\" এই বই প্রকাশের পর ঝো লো-কে ধরার জন্য বিশ্ব জুড়ে একটা চাপ তৈরি হয়। দ্য এজ, মালয়েশিয়া ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি ২০১৫ সালে যখন খবরের শিরোনামে তখন মালয়েশিয়ার ভেতরে আপনি যদি শুধুই মালয়েশীয় পত্রিকা পড়তেন বা শুধু দেশের টিভি চ্যানেলে খবর শুনতেন তাহলে আপনার মনে হতো কিছুই হয়নি, সব ঠিকঠাক আছে। মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ সাংবাদিক ও সম্পাদকরা দ্রুত বুঝে গিয়েছিলেন যে দেশের রাষ্ট্রীয় ফান্ড নিয়ে এই কেলেঙ্কারির খবর নিয়ে বেশি ঘাঁটালে বিপদ আছে এবং এ খবর প্রচার করলে তাদের কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবার ঝুঁকি আছে। কিন্তু গুটিকয় যেসব সংবাদমাধ্যম এই খবর দেয়া থেকে বিরত হয়নি তাদের মূল্য দিতে হয়েছে। এদের একটি দ্য এজ মিডিয়া গ্রুপ। তাদের সংবাদপত্রগুলো ওয়ানএমডিবির কার্যকলাপ নিয়ে তদন্তের খবর ছেপেছে এবং \"জন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে সংবাদ প্রচারের\" কারণ দেখিয়ে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। সেসময় সংবাদপত্রের প্রকাশক হো কে টাট বলেছিলেন, \"আমাদের মুখ বন্ধ করতেই শুধু আমাদের কাগজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।\"", "doc2": "Il avait plaidé non coupable des accusations d'abus de confiance, de blanchiment d'argent et d'abus de pouvoir. L'affaire contre Najib, en fonction de 2009 à 2018, est largement considérée comme un test pour la Malaisie et ses efforts dans la lutte contre la corruption. Le scandale de la 1MDB autour d'un fonds souverain en Malaisie a mis à jour un réseau mondial de fraude et de corruption. Il a propagé des ondes de choc à travers l'establishment politique malaisien, conduisant à la chute du parti UMNO de Najib, qui avait gouverné le pays pendant 61 ans depuis son indépendance. \"Chickengate\" : scandale de corruption au Kenya Le frère de Macky Sall démissionne à la suite d'un scandale financier AfSud: le Parlement rompt le contrat de KPMG Najib pourrait maintenant faire face à des décennies de prison - mais on s'attend à ce qu'il reste reste libre jusqu'à ce que les recours soient épuisés. \"Après avoir examiné toutes les preuves dans ce procès, je trouve que l'accusation a réussi à prouver sa thèse au-delà de tout doute raisonnable\", a déclaré le juge Mohamad Nazlan Mohamad Ghazali à la Haute Cour de Kuala Lumpur. Avant l'audience, Najib a déclaré qu'il se battrait jusqu'au bout, promettant de faire appel de tout verdict de culpabilité prononcé contre lui C'est ma chance de laver mon nom\", a-t-il écrit dans une déclaration sur Facebook. Anas Aremeyaw Anas, journaliste d'investigation ghanéen Quelles sont les accusations ? Le verdict de mardi portait sur le transfert de 42 millions de ringgit (10 millions de dollars) du fonds vers les comptes privés du premier ministre de l'époque. Najib nie tout méfait et affirme avoir été trompé par des conseillers financiers - en particulier le financier fugitif Jho Low. Jho Low a été inculpé aux États-Unis et en Malaisie, mais il clame également son innocence. Un partisan réagit après l'annonce des verdicts L'équipe de défense de Najib a fait valoir qu'il a été amené à croire que les fonds sur ses comptes étaient des dons de la famille royale saoudienne - plutôt que des détournements de fonds de l'État. Il risque 15 à 20 ans de prison pour chacune des accusations. Plus sur la Malaisie Qu'est-ce que le scandale 1MDB ? L'affaire concerne le 1 Malaysia Development Berhad (1MDB), un fonds souverain créé en 2009, lorsque Najib Razak était premier ministre. Les fonds souverains sont des fonds d'investissement appartenant à l'État qui sont utilisés pour stimuler le développement économique d'un pays. Constitués à partir des recettes de l'État, telles que les revenus des ressources et des exportations pétrolières, ils disposent de flux de trésorerie extraordinaires à investir et d'une influence internationale potentiellement énorme. En 2015, des questions ont été soulevées autour des activités de 1MBD après qu'il ait manqué des paiements dus aux banques et aux détenteurs d'obligations. Les autorités malaisiennes et américaines allèguent que 4,5 milliards de dollars ont été illégalement pillés du fonds et détournés vers des poches privées. L'argent manquant a été lié à l'immobilier de luxe, à un jet privé, aux œuvres de Van Gogh et de Monet - et même à un blockbuster hollywoodien, le Wolf of Wall Street. La semaine dernière, la banque américaine Goldman Sachs a conclu un accord de 3,9 milliards de dollars avec le gouvernement malaisien pour son rôle dans le système de corruption de plusieurs milliards de dollars. L'accord a permis de mettre fin aux accusations portées en Malaisie selon lesquelles la banque aurait induit les investisseurs en erreur lorsqu'elle a aidé à réunir 6,5 milliards de dollars pour 1MDB. Corée du Sud : l'ex-présidente inculpée Brésil : enquête sur Michel Temer L'ex-président du Pérou se suicide avant son arrestation Scandale Fifa: Hector Trujillo plaide coupable De quoi d'autre Najib est-il accusé ? L'ancien Premier ministre a été blanchi de toutes les allégations des autorités malaisiennes alors qu'il était encore en fonction. Pourtant, ces accusations ont joué un rôle important dans sa défaite électorale en 2018 - et le nouveau gouvernement a rapidement rouvert les enquêtes sur l'affaire 1MDB. Si les verdicts de mardi étaient les premiers, ils n'étaient peut-être pas les plus importants. Un autre procès, qui a débuté en août dernier, porte sur les accusations selon lesquelles l'ancien premier ministre aurait obtenu illégalement 2,28 milliards de ringgit (550 millions de dollars) de la 1MDB entre 2011 et 2014. Il fait face à 21 chefs d'accusation de blanchiment d'argent et quatre d'abus de pouvoir, mais nie une fois de plus tout méfait. Sa femme, Rosmah Mansor, est également accusée de blanchiment d'argent et d'évasion fiscale, et a plaidé non coupable. Escalade entre la Malaisie et la Corée du Nord"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48611003", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48845492", "doc1": "'ক্রিয়েটিভিটি অ্যাপ থেকে তো আর সৃজনশীলতা অর্জন করা যায় না' - একজন অভিভাবকের মন্তব্য। সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করা এসব তরুণ উদ্ভাবকের অনেকেই বিশ্বের বৃহত্তম সব প্রযুক্তি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের অনেকে বিয়ে শাদি করে এখন নিজেরাও পিতামাতা হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এখন তাদের নিজেদের সন্তানরা যাতে এসব প্রযুক্তি ও অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারেন সেবিষয়ে সচেষ্ট থাকেন। এবং এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের কোন রাখঢাক নেই। অ্যাপলের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ২০১১ সালে একবার স্বীকার করেছিলেন যে তিনি এবং তার স্ত্রী লরেন পাওয়েল মিলে বাড়িতে তাদের সন্তানদের এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্যে কিছু সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও তার সন্তানরা কতোটুকু সময় স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবেন তার একটা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। পড়ার টেবিলে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন মোবাইল ফোনও। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ২০১৭ সালে তার নবজাতক অগাস্টের উদ্দেশ্যে যে চিঠি লিখেছিলেন সেখানে তিনি তাকে \"ঘরের বাইরে গিয়ে খেলতে\" বলেছিলেন। কিন্তু সিলিকন ভ্যালির এই প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা অভিভাবক হওয়ার পর কেন তাদের নিজেদের সন্তানদেরকে স্ক্রিন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন? প্রযুক্তি-মুক্ত শৈশব সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়াতে একটি টেক কোম্পানির নির্বাহী পিয়ের লরেন্ট। সিলিকন ভ্যালিতে একটি জনপ্রিয় বেসরকারি স্কুল ওয়ালডর্ফ স্কুল অফ দ্যা পেন��নসুলারও বোর্ড পরিচালক তিনি। এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা কিশোর বয়সে পৌঁছানো না পর্যন্ত প্রযুক্তি ও অ্যাপ পরিহার করে চলে। বাস্তব জীবনের সাথেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে শিশুদের। আরো পড়তে পারেন: স্ক্রিন থেকে কীভাবে শিশুর চোখ ফেরানো যাবে? খাওয়ার সময় সন্তানের কাছ থেকে মোবাইল দূরে রাখুন 'বেশি টিভি দেখলে স্মৃতিভ্রংশ হয়' লরেন্ট, যিনি এই স্কুলে তার তিন সন্তানকে পাঠান লেখাপড়া করতে, বিবিসিকে বলেছেন, সেখানে অভিভাবকদের তিন-চতুর্থাংশই কোন না কোনভাবে বিভিন্ন টেক কোম্পানিতে কাজ করছেন। স্কুলের পক্ষ থেকেই তাদেরকে বলা হয়েছে সন্তানদের লেখাপড়ার ওপর এসব প্রযুক্তির কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সেবিষয়ে নজর রাখার জন্যে। \"আপনি যখন ছোট্ট একটা শিশু তখন তো এক টুকরো কাঁচ থেকে আপনার শেখার কিছু নেই। আপনাকে আসলে সবগুলো ইন্দ্রিয় ব্যবহার করতে হবে। আপনার যা কিছু আছে তার সবকিছু দিয়েই মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে হবে,\" বলেন তিনি। অসঙ্গতি সিলিকন ভ্যালির কর্মকর্তাদের এই পরষ্পর-বিরোধিতার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ওয়ালডর্ফ স্কুলটি আলোচনায় উঠে আসে। সারা বিশ্বে প্রযুক্তির কেন্দ্র বলে পরিচিত এই সিলিকন ভ্যালির স্কুলটি এমন এক শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে যেখানে শিশুরা সর্বতোভাবে লাভবান হবে। এই স্কুলের পাঠ্যসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে \"একুশ শতকের দক্ষতার\" উপর যার মধ্যে রয়েছে নিজের জীবনের শৃঙ্খলা, স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা করা, দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং শৈল্পিকভাবে সবকিছু প্রকাশের দক্ষতা অর্জন করা। \"এসব মানবিক ক্ষমতা স্ক্রিনের সামনে বসে অর্জন করা যায় না। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে এবং নিজে হাতে কলমে সেসব করার মাধ্যমেই এসব গুণাবলী অর্জন করা সম্ভব,\" বলেন পিয়ের লরেন্ট। অনেক পিতামাতা সন্তানকে ব্যস্ত রাখার জন্যে তার হাতে স্ক্রিন তুলে দেন। ভিন্ন মত সিলিকন ভ্যালির এক দল অভিভাবক যখন এরকমটা ভাবছেন তখন আরেক দল অভিভাবক আছেন যারা মনে করেন একুশ শতকে শিক্ষার একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ এই প্রযুক্তি। শ্রেণি কক্ষে ভাল করার পাশাপাশি বাইরের জীবনে সাফল্যের জন্যেও এই প্রযুক্তি জরুরি বলে তারা মনে করেন। কমন সেন্স মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা পরিবারগুলোকে ডিজিটাল বিনোদন এবং প্রযুক্তির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে, তার একজন ঊর্ধ্বতন পরিচালক মার্ভ লাপুস প্রায় এক দশক ধরে এনিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, \" হ্যাঁ, প্রযুক্তি মনোযোগ নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে কিভাবে দাঁড়াবো? কারণ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে শিশুদের কাছে অনেক সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বাস্তব পৃথিবীর জন্যে তাদেরকে প্রস্তুতও করতে হবে। তখন তো এসব উপকরণ (প্রযুক্তি ও অ্যাপ) ব্যবহারের প্রয়োজন হবে,\" বলেন তিনি। অনেকেই শিশুদের ঘরের বাইরে খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভারসাম্য খুঁজে বের করা শিশুদেরকে স্ক্রিনের জন্যে কতোটুকু সময় দেওয়া দরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তারা সেই সময় আরো কমিয়ে দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের একা একা টেলিভিশনসহ কোন স্ক্রিনই দেখতে দেওয়া ঠিক নয়। আর দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের জন্যে এই সময়সীমা দৈনিক এক ঘণ্টা কিম্বা তারচেয়েও কম। কিন্তু লাপুস বলছে, সব স্ক্রিনকে এক কাতারে বিবেচনা করা উচিত নয়। তার দুটো সন্তান। একটি চয় আর অন্যটি আট বছরের। তাদের স্ক্রিন ব্যবহারের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। \"আগে তারা যতোটা স্ক্রিনে থাকতো এখন তাদের ততোটা থাকা ঠিক নয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমাকে রাতের খাবার তৈরি করতে হয়। কিন্তু সিসাম স্ট্রিট দেখাও তাদের বিনোদনের বড় একটি উপায়।\" আরো পড়তে পারেন: আরো ২২টি পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ, উদ্বেগে ভোক্তারা একসময় কি ছাদের নিচে ক্রিকেট খেলতে হবে? ভারতীয় পাইলটকে বিদ্রুপ করে পাকিস্তানের বিজ্ঞাপন", "doc2": "\"On n'apprend pas la créativité en allant dans l'application de créativité \", dit un père qui limite le temps passé à l'écran. Parmi la génération des entrepreneurs de la Silicon Valley qui ont fondé les plus grandes sociétés de technologie du monde, beaucoup sont en train de devenir eux-mêmes parents, et certains d'entre eux limitent ouvertement l'accès de leurs enfants aux outils dont beaucoup d'entre nous sont accros. Le regretté fondateur d'Apple, Steve Jobs, a admis en 2011 que lui et sa femme, Laurene Powell, avaient limité le nombre d'outil numériques que leurs enfants pouvaient utiliser à la maison. Lire aussi : Comment arrêter de passer son temps sur son téléphone Pourquoi l'inventeur d'Internet est inquiet Le fondateur de Microsoft, Bill Gates, est également connu pour avoir restreint le temps d'écran et interdit les téléphones portables à table, tandis que Mark Zuckerberg, celui de Facebook, a écrit en 2017 une lettre à sa fille nouveau-née, August, l'invitant à \"sortir jouer dehors\". Mais pourquoi ces parents de la Silicon Valley éloignent-ils leurs enfants des écrans ? Une enfance sans technologie Pierre Laurent est cadre technique dans la région de la baie de San Francisco et directeur du conseil d'administration de la Waldorf School of the Peninsula - une école privée populaire de la Silicon Valley qui interdit la technologie jusqu'à ce que les élèves atteignent leur adolescence. Laurent dit que les enfants doivent s'engager dans la vie réelle pour acquérir les compétences dont ils auront besoin dans l'avenir. Laurent, qui envoie ses trois enfants à l'école, déclare à la BBC que les trois quarts des camarades de classe de ses enfants ont des parents qui travaillent dans la tech. L'école leur dit de faire attention aux effets néfastes de la technologie sur le processus d'apprentissage des enfants. Lire aussi : Interdiction de traverser la rue en regardant son téléphone Google promet l'intelligence artificielle au service du journalisme \"On ne peut pas apprendre d'un petit morceau de verre quand on est enfant. En fait, il faut travailler avec tous ses sens, il faut être capable de nourrir le cerveau avec tout ce que l'on a \", dit Laurent. Contradiction Waldorf a d'abord été sous les feux des projecteurs lorsque les médias ont commencé à souligner cette contradiction apparente dans la Silicon Valley. C'est précisément là - au cœur du secteur de la technologie mondiale - que nous trouvons une école qui défend ce qu'elle appelle \"une éducation holistique [pour] le cœur et l'esprit\". Son cursus est centré sur les \"compétences du 21ème siècle\" comme la confiance et l'autodiscipline, la réflexion indépendante, le travail en équipe et l'expression artistique. \"Ces capacités humaines ne se développent pas devant un écran. Il faut s'engager à faire les choses et à faire les choses soi-même \", dit Laurent. De nombreux parents utilisent la technologie pour occuper leurs enfants pendant qu'ils s'occupent des tâches ménagères. Deux papas, deux approches Bien que ce message résonne chez la nouvelle génération de parents de la Silicon Valley, beaucoup d'autres croient que la technologie est un outil nécessaire pour le 21e siècle - à la fois pour apprendre en classe et pour réussir à l'extérieur. Merve Lapus est directeur de Common Sense Media, une organisation qui conseille les familles en matière de divertissement numérique et de technologie. Il a passé près d'une décennie à analyser et à guider les parents sur les avantages et les pièges potentiels de l'utilisation de la technologie en classe. Lire aussi : Y-a-t'il un espion caché dans votre poche? Pourquoi le bras de fer entre Huawei et Google inquiète l'Afrique \"Oui, la technologie peut devenir une distraction, alors comment s'y opposer ? Parce qu'il y a beaucoup trop de possibilités [pour les enfants d'utiliser la technologie], mais il faut aussi les préparer au monde réel, ce qui nécessitera l'utilisation de ces outils \", dit-il. Quand vous pensez aux communautés qui disent : \" Nous allons leur enlever leurs appareils \", ce sont généralement des communautés dont les enfants ont accès à la technologie à la maison. Ce n'est vraiment pas le cas pour beaucoup d'autres communautés à faible revenu.\" Laurent : \"Ça ne veut pas dire qu'il faut rejeter complètement la technologie\" Trouver l'équilibre L'Organisation mondiale de la santé (OMS) a récemment publié de nouvelles lignes directrices visant à réduire le temps d'écran recommandé pour les jeunes enfants. Les enfants jusqu'à l'âge de deux ans ne devraient pas être laissés seuls devant la télévision ou d'autres écrans, dit l'OMS. La limite pour les enfants de deux à quatre ans est d'une heure par jour ou moins. Mais Lapus souligne que tout le temps passé devant les écrans ne doit pas être considéré comme égal - et il cite ses propres difficultés à élever ses deux enfants, âgés de six et huit ans. Lire aussi : \"Pas de soda pour les enfants !\" Un enfant utilise un iPhone pour sauver sa mère \"Ils n'auraient dû être devant des écrans aussi tôt qu'ils l'ont été\", concède-t-il. \"Mais la réalité, c'est que je dois préparer le dîner. Et l'émission Sesame Street était un bon moyen pour eux de s'occuper\", admet Lapus. \"Je pouvais servir le repas. Ils pouvaient regarder un peu de Sesame Street. Mais en tant que parent, j'ai toujours veillé à leur demander ce qu'ils avaient appris\", raconte-t-il. Bien que la question de la durée du temps recommandé devant les écrans pour les enfants ne soit pas encore définitivement tranchée, Laurent dit que limiter leur utilisation de la technologie n'est pas la même chose que d'en restreindre complètement l'accès. \"Cela ne veut pas dire que nous devons repousser complètement la technologie et dire que nous ne devrions jamais utiliser un ordinateur de notre vivant \", dit-il. \"C'est comprendre quand c'est une bonne idée de les utiliser mais de le faire à un âge où les enfants et les élèves en sont capables\", pointe Lapus."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50288803", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50292017", "doc1": "স্টিভ ইস্টারব্রুকের বাৎসরিক বেতন ছিল ১৬ মিলিয়ন ডলার ম্যাকডোনাল্ডস বলছে, যদিও সম্মতির ভিত্তিতেই মি. ইস্টারব্রুক ঐ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তবুও অধস্তন কর্মচারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি কোম্পানির বিধি ভেঙ্গেছেন। কর্মচারীদের কাছে এক ই-মেল বার্তায় জাতিতে ব্রিটিশ মি. ইস্টারব্রুক তার প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তিনি লেখেন, \"কোম্পানির বিধি মেনে আমি পরিচালনা বোর্ডের সাথে একমত হয়েছি যে আমার এখানে থাকা উচিৎ নয়।\" ১০ বছরেও পচেনি ম্যাকডোনাল্ডসের যে বার্গার বিবাহবিচ্ছেদ ৫২ বছর বয়সী মি ইস্টারব্রুকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। তারপরও অধস্তনের সাথে প্রেম করাকে অপরাধ হিসাবে দেখেছে ম্যাকডোনাল্ডস। ১৯৯৩ সালে তিনি লন্ডনে একজন ম্যানেজার হিসাবে ম্যাকডোনাল্ডসে ঢোকেন, এবং তারপর তরতর করে শীর্ষে উঠতে থাকেন। ২০১১ সালে তিনি ম্যাকডোনাল্ডস ছেড়ে প্রথমে পিজ্জা এক্সপ্রেস এবং পরে আরেকটি জনপ্রিয় এশীয় রেস্তোরা চেইন ওয়াগামামার প্রধান নির্বাহী হিসাবে কাজ করেন। মি ইস্টারব্রুক ২০১৩ সালে আবারো ম্যাকডোনাল্ডসে যোগ দেন ব্রিটেন এবং উত্তর ইউরোপ অপারেশন্সের প্রধান হিসাবে। ২০১৫ সালে তিনি মার্কিন এই ফাস্ট ফুড জায়ান্টের প্রধান নির্বাহী হন। ম্যাকডোনাল্ডসের মেনু থেকে শুরু করে দোকানের সাজসজ্জা ঢেলে সাজানো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ইমেজ তৈরির পেছনে মি. ইস্টারব্রুকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকডোনাল্ডসের শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ম্যাকডোনাল্ডস কোম্পানির ব্যবসা বাড়াতে অসামান্য ভূমিকা রাখার পরেও শুক্রবার ম্যাকডোনাল্ডসের পরিচালনা বোর্ড তাকে প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেম নিয়ে কোম্পানি বিধি ম্যাকডোনাল্ডসের বিধিতে রয়েছে- কোনো ম্যানেজার তার অধস্তনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারবেন না। পরিচালনা বোর্ড মনে করেছে, অধস্তনের সাথে প্রেমে জড়িয়ে মি ইস্টারব্রুক একদিকে যেমন বিধি ভঙ্গ করেছেন, অন্যদিকে তিনি তার বিবেচনা বোধের প্রতি সুবিচার করেননি। এর আগে তার বেতন নিয়ে সমালোচনা মুখোমুখি হয়েছিলেন মি. ইস্টারব্রুক। ২০১৮ সালে যেখানে ম্যাকডোনাল্ডস কর্মীদের গড় বেতন ছিল বছরে ৭৪৭৩ ডলার, সেখানে তার নিজের বেতন ছিল বছরে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত বছর বিশ্বের শীর্ষ কম্পিউটার চিপ নির্মাতা ইনটেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ক্রানিচকে একই কারণে চাকরি হারাতে হয়েছিল। কোম্পানির একজন অধস্তন কর্মচারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।", "doc2": "Steve Easterbrook a été nommé directeur général de McDonald en 2015 Le géant américain de la restauration rapide a déclaré que la relation était consentie, mais M. Easterbrook avait \"violé la politique de la société\" et fait preuve de \"mauvais jugement\". Dans un courriel au personnel, l'homme d'affaires britannique a reconnu la relation et a dit que c'était une erreur. Lire aussi: \"Compte tenu des valeurs de l'entreprise, je suis d'accord avec le conseil d'administration pour dire qu'il est temps pour moi de passer à autre chose \", a-t-il dit. M. Easterbrook, 52 ans, divorcé, a d'abord travaillé pour McDonald's en 1993 en tant que directeur à Londres avant de gravir les échelons de l'entreprise. Il est parti en 2011 pour devenir le patron de Pizza Express, puis de la chaîne alimentaire asiatique Wagamama, avant de retourner chez McDonald's en 2013, pour finalement devenir son patron au Royaume-Uni et en Europe du Nord. Stephen Easterbrook, PDG de McDonald's, dévoile le nouveau siège social de l'entreprise lors d'une grande cérémonie d'ouverture le 4 juin 2018 à Chicago, Illinois. PDG de McDonald's en 2015 M. Easterbrook est largement reconnu pour avoir revitalisé les menus et les restaurants de l'entreprise, en remodelant les magasins et en utilisant de meilleurs ingrédients. La valeur de ses actions a plus que doublé pendant son mandat aux États-Unis. Sous sa direction, McDonald's a également élargi ses options de livraison et de paiement mobile pour mettre l'accent sur la commodité. Le conseil d'administration du géant de la restauration rapide a voté le départ de M. Easterbrook, né à Watford, vendredi, après un examen. Il a également quitté ses fonctions de président et de membre du conseil d'administration de McDonald's. Les règles de l'entreprise pour les gestionnaires leur interdisent de s'engager romantiquement avec un subordonné. Elle publiera lundi les détails de l'indemnité de départ de M. Easterbrook, qui feront l'objet d'un suivi attentif. Steve Easterbrook, PDG de McDonalds, et Chrissy Teigen visitent McDonald's pour célébrer l'anniversaire de McDelivery le 25 juillet 2017 à New York City. Un salaire faramineux La société a été critiquée pour le montant qu'elle verse à ses cadres supérieurs, et M. Easterbrook a fait l'objet d'un examen minutieux pour sa paie de 15,9 millions de dollars US (9.347.849.966 FCFA) en 2018. Il s'agit de 2 124 fois le salaire médian des employés, soit 7 473 dollars US (4.393.263 FCFA). Il sera remplacé par Chris Kempczinski, plus récemment président de McDonald's USA, avec effet immédiat. Dans une déclaration, M. Kempczinski a remercié M. Easterbrook pour ses contributions, ajoutant : \"Steve m'a amené chez McDonald's et il a été un mentor patient et serviable.\" L'année dernière, le patron d'Intel, Brian Krzanich, a démissionné pour avoir eu une relation consentie avec un employé d'Intel, ce qui était contraire aux règles de la société. Il occupait ce poste depuis mai 2013."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56425135", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51584178", "doc1": "ভোটের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ায় বা ইরানের সরাসরি যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ মেলেনি। মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে \"বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ\" ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোন সরকারের কোন হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। তবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে একে রাশিয়া এবং ইরানের \"প্রভাব খাটানোর অভিযান\" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট বাইডেন মি. ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন মি. ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে \"বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার\" কাজ করছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইরানের উপর \"সর্বোচ্চ চাপ\" প্রয়োগের নীতি অনুসরণ, ক্ষতিকর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিলেন। ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসলেও \"অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের\" সাথে প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে, ভোটের আগে দেশটি কোন ধরণের \"প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়নি।\" সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রাশিয়ার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে বলা হয়, \"চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাধে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা চায়। আর তাই নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন সেটি প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকির বিপরীতে সুবিধাজনক নয় বলে বিবেচনা করেছে।\" প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং চূড়ান্ত ফল- কোনটাই বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হল যখন দেশটির বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যৌথ তদন্তের ফলও একই রকম পাওয়ার কথা জানানো হয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, \"রাশিয়া এবং ইরানের প্রচারণা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল যারা কিছু নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপস আপস করেছিল যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করেছিল।\" তবে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রভাব বিস্তার করার এসব প্রচেষ্টার সবই ছিল পরোক্ষ। নথিগুলোতে বলা হয়, \"ভোট প্রক্রিয়ার কোন কারিগরি বিষয় বদলে ফেলে ভোটার নিবন্ধন, ব্যালটে ভোটদান, ভোট গণনা কিংবা ফল ঘোষণা, কোন বিষয়েই বিদেশী কোন শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন কোন ইঙ্গিত আমাদের কাছে নেই...\" গত বছরের অগাস্টে মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি বলেছিল যে, চীন, রাশিয়া এবং ইরান আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ��ধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। তদন্তে উঠে আসে যে রাশিয়া মি. বাইডেনকে কলঙ্কিত করতে চাইছিল। আর চীন এবং ইরান মি. ট্রাম্পের পরাজয় চেয়েছিল।", "doc2": "Le président Trump aurait été en colère après le briefing sur la sécurité des élections Ces informations émanent d'une réunion à huis clos de la commission des renseignements de la Chambre des représentants qui s'est tenue le 13 février, ont précisé des responsables à des médias américains. Le président Trump aurait été enragé, se plaignant que les démocrates utiliseraient ces informations contre lui. Il a remplacé son chef intérimaire des services de renseignement, Joseph Maguire, jeudi. Le New York Times a rapporté que M. Trump était particulièrement fâché qu'Adam Schiff, le démocrate qui a mené la procédure de mise en accusation contre lui, ait assisté au briefing. M. Trump, mis en accusation par la Chambre des Représentants pour abus de pouvoir et obstruction au Congrès, a été acquitté après un procès de deux semaines au Sénat contrôlé par les Républicains. Lors de la réunion des services de renseignement de la Chambre, les partisans de M. Trump ont fait valoir que le président avait adopté une position ferme à l'égard de la Russie et que les liens et la sécurité de l'Europe s'en étaient trouvés renforcés, a ajouté le journal. M. Schiff a ensuite tweeté que si M. Trump \"interfère\" dans le partage d'informations entre les services de renseignement et le Congrès concernant l'ingérence, le président \"compromet\" les tentatives pour arrêter cette ingérence. A lire aussi M. Maguire était l'un des favoris pour être nommé au poste de directeur permanent du renseignement national (DNI), a déclaré le Washington Post. Toutefois, le journal a indiqué que le président avait changé d'avis lorsqu'il a appris la nouvelle de la réunion d'information et ce qu'il a appelé la \"manque de loyauté\" de son personnel. Il a annoncé cette semaine que M. Maguire serait remplacé par Richard Grenell, l'ambassadeur américain en Allemagne considéré comme un fidèle de Trump. Richard Grenell, l'ambassadeur américain en Allemagne, a été nommé DNI cette semaine Deux fonctionnaires de l'administration Trump ont déclaré au New York Times que le remplacement de M. Maguire, si peu de temps après le briefing litigieux, était une coïncidence. Les responsables des services de renseignement américains affirment que la Russie est intervenue dans l'élection présidentielle de 2016 pour stimuler la campagne de M. Trump et provoquer le chaos dans le processus électoral américain. Les démocrates ont critiqué le président pour avoir nommé M. Grenell, qui avait auparavant minimisé l'ampleur de l'ingérence russe lors des dernières élections et avait célébré la montée des politiciens d'extrême droite en Europe. Ned Price, un ancien assistant du prédécesseur de M. Trump, Barack Obama, a déclaré que le président avait \"laissé tomber la mascarade selon laquelle il n'a aucune utilité pour le renseignement\". \"Il vient de nommer l'ambassadeur américain le plus politique - et le plus abrasif - dans ce qui est censé être le rôle le moins politique - et sans doute le plus délicat\", a-t-il tweeté. Face à la Russie et la Chine, Trump promet de relever le défi de la sécurité"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50625510", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50633887", "doc1": "উজ্জল লাল রঙয়ের এই আপেলটি রংয়ের কারণে ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে দুই দশক যাবত এই আপেলের জাতটি নিয়ে গবেষণা করার পর আপেলটি ব্যবসায়িকভাবে ওয়াশিংটন রাজ্যের কৃষকদের চাষ করার জন্য অনুমতি দেয়া হচ্ছে। শুধু ওয়াশিংটনের কৃষকরা আগামী দশ বছর এই জাতের আপেল চাষ করতে পারবে। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি গবেষণামূলকভাবে এই আপেলটি প্রথমবার চাষ করে। নতুন ধরণের এই আপেলের চাষ ব্যবসায়িকভাবে শুরু করতে ১ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। আরো পড়ুন: বাঙালিদের কেন আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও চলবে? ৭০ দিন পর কাশ্মীরে ফের চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে কসমিক ক্রিস্প নামের এই আপেলের জাতটি হানি ক্রিস্প ও এন্টারপ্রাইজ, এই দুই ধরণের আপেলের সংমিশ্রণ। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এই আপেলটির চাষ ও বংশবৃদ্ধি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা একজন গবেষক কেট ইভান্স জানান এই আপেল ফ্রিজে থাকলে ১০ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য থাকে এবং আপেলের স্বাদ ও অন্যান্য গুণাগুণও অক্ষুন্ন থাকে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি কসমিক ক্রিস্প আপেলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং কঠোর লাইসেন্সিং পদ্ধতি দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ওয়াশিংটন বাদে দেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরা যেন এই জাতের আপেল চাষ করতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আপেল হয় ওয়াশিংটনে। ঐ এলাকার অন্যতম জনপ্রিয় আপেলের জাত গোল্ডেন ডেলিশাস এবং রেড ডেলিশাস। তবে সম্প্রতি পিঙ্ক লেডি ও রয়্যাল গালা জাতের আপেলও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কলার পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফল আপেল। বিবিসি বাংলার আরো খবর: আপেল থেকে তৈরি কৃত্রিম কান", "doc2": "L'aspect rouge et brillante de la pomme la rend susceptible d'être populaire sur Instagram. \"Cosmic Crisp\", le nom de la pomme, que les chercheurs ont mis deux décennies à développer a été cultivée pour la première fois par la Washington State University en 1997. Qualifiée de \"pomme ferme, croustillante et juteuse\", son développement a coûté 10 millions de dollars US. Les agriculteurs de l'État de Washington sont exclusivement autorisés à cultiver les fruits pour la prochaine décennie. \"C'est une pomme ultra-croustillante, relativement ferme, avec un bon équilibre entre sucré et acidulé et très juteuse\", a déclaré Kate Evans, qui a co-dirigé le programme de sélection de la pomme à la Washington State University. Elle a déclaré que la chair est lente à brunir et que les fruits \"maintiennent une excellente qualité gustative dans le réfrigérateur - facilement pendant 10 à 12 mois \". Plus de 12 millions d'arbres Cosmic Crisp ont été plantés et un système de licence strict interdit aux agriculteurs de cultiver les pommes dans d'autres régions du pays. Des scientifiques estiment que la consommation excessive de fruits nuit à la dentition. La variété était à l'origine connue sous le nom de WA38 et le nom Cosmic Crisp a été inspiré par la dispersion de petites taches blanches sur sa peau rouge foncé, ressemblant au ciel la nuit. Washington est le plus grand fournisseur de pommes aux États-Unis, mais ses variétés les plus populaires - la Golden Delicious et la Red Delicious - ont dû faire face à une concurrence féroce de la Pink Lady et du Royal Gala. Les pommes sont le deuxième fruit le plus vendu aux États-Unis après les bananes."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47513035", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-55635470", "doc1": "সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া স্বজনদের আর্তনাদ। (ফাইল ছবি) বাংলাদেশেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হলেও পরিস্থিতির কোন দৃশ্যত পরিবর্তন নেই। মঙ্গলবারও ঢাকায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দাবী পুরনোই - নিরাপদ সড়ক চাই�� কিন্তু এসব সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব জীবন ঝরে যায়, তাদের জীবনের আসলে মূল্য কত? অথবা সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে যারা বেঁচে থাকেন, তাদের এই ভোগান্তির আর্থিক মূল্যই বা কত? টাকার অঙ্কে এই হিসেব অনেকে না-ই করতে চাইবেন। তবে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট কত টাকার ক্ষতি হয়, তার হিসেব বের করা হয়েছে বাংলাদেশেরই এক সরকারি জরিপে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তর ২০১৬-১৭ সালের এক জরিপে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কোন কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি, চিকিৎসার খরচ, জীবনের মূল্য, গাড়ির ক্ষতি এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য সব হিসেব থেকে এই চিত্র তুলে ধরেছে। সর্বসাকুল্যে একটি প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। তবে মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকাপ্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকামারাত্মক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ সাধারণ দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা আরো পড়ুন: নিরাপদ সড়ক: দ্বিতীয় দিনের মত চলছে ছাত্র বিক্ষোভ কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? ২০১৬-১৭ সালের দুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে জরিপে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে এ হিসেবের মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অর্থনৈতিক চাপ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির শুণ্যস্থান পূরণ ও সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ, দুর্ঘটনার ফলে রাস্তায় নষ্ট হওয়া অতিরিক্ত সময়, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে গড় আয়ু কমার অর্থনৈতিক ক্ষতি ইত্যাদি বিষয়গুলো হিসেব করা হয়নি বলে জরিপে বলা হচ্ছে। পুলিশের রেকর্ডে থাকা জাতীয় সড়ক পরিবহন দুর্ঘটনা রির্পোট ২০১৪-এর উপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রাম থেকে ১,৫৫৮ জন হতাহতকে নমুনা হিসেবে নিয়ে এই তথ্য বের করেছে সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের এই জরিপ। কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি সরকারি ওই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় একটি কর্মক্ষম ব্যক্তির প্রাণ হারানোর ফলে অর্থনৈতিকভাবে গড় ক্ষতির পরিমাণ ২৪,৬২,১০৬ টাকা। আর মারাত্মকভাবে আহত হলে সেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় গড়ে ২০,৯৭৭ টাকা। তবে সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা মাত্র ১,৫৯৮ টাকা। ২৪ ল���খ ৬২ হাজার টাকানিহত হলে আর্থিক মূল্যে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার টাকামারাত্মকভাবে আহত হলে আর্থিক মূল্যে ক্ষতির পরিমাণ সাধারণ দুর্ঘটনায় আহত হলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণপ্রায় ১,৬০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি যেভাবে হিসেব করা হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার কোন ব্যক্তির যে উৎপাদন ক্ষমতা, তার আর্থিক মূল্যের হিসেব করে এটি পাওয়া গিয়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের উপর জরিপ করে অথবা তাদের গড় বেতন হিসেব করে এই ক্ষতি নিরুপণ করা হয়। তবে মোটরযান ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে গড় আয় নিরুপণ করা হয়েছে বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরি (বিআরআরএল)-এর ট্রাভেল টাইম কস্ট (টিটিসি) জরিপের উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র পথচারীদের গড় আয় ধরা হয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (২০১৫-১৬) তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় ৯,৫৫০ টাকা হিসেব করে। গবেষক দল বলছে, তারা তাদের নমুনা থেকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের গড় বয়স বের করেছেন যাতে সারাজীবনে তাদের গড় আয় কত হতে পাবে - সেটির ধারণা পাওয়া যায়। সেখান থেকে দুর্ঘটনার জন্য যত বছর নষ্ট হলো, তার ভিত্তিতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বের করা হয়েছে। অন্যদিকে, আহতদের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর যতদিন কোন ব্যক্তিকে কাজ থেকে দূরে থাকতে হয়, তার সঙ্গে তার দৈনিক আয়কে গুণ করে ওই কয়েকদিনের আর্থিক ক্ষতির হিসেব বের করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মারাত্মক আহত হলে সুস্থ হতে ৩০ দিন পর্যন্ত ধরে নেওয়া হয়, আর সামান্য আহত হলে তা দু'দিন ধরে হিসেব করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ইলিয়াস কাঞ্চনের নি:সঙ্গ লড়াই চিকিৎসার জন্য কত খরচ হয়? সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচের মধ্যে রয়েছে - প্রাথমিক চিকিৎসা এবং উদ্ধার তৎপরতা, হাসপাতালের খাবার, বিছানা, অপারেশন, এক্স-রে, ওষুধ ও ডাক্তারের ফি এবং পরবর্তীতে পুনর্বাসনের খরচ। তবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের খুব কমই অ্যাম্বুলেন্স সেবা অথবা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় - অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেডিক্যাল সেন্টার বা বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর যারা ঘটনাস্থলে নিহত হন, তাদের মরদেহ পুলিশ পরিবহন করে। ২০১৬-১৭ সালের ওই জরিপে দেখা যায়, উদ্ধার ও পরিবহন বাবদ প্রত্যেক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির জন্য গড়ে ১,৪০০ টাকা ব্য���় হয়। অন্যদিকে, হাসপাতালের খরচ বের করা বেশ কঠিন বলে মনে করা হয়। কারণ মারাত্মক আহতদের ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ১০ দিন এবং হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে দুই দিন হিসেব করা হয়। এ হিসেবে একটি সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রায় ১,৬০০ টাকা খরচ হয়, আর মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে খরচ প্রায় ১০,০০০ টাকা। তবে নিহত প্রতি ব্যক্তির জন্য ১,৪০০ টাকা খরচ হয় বলে জানাচ্ছে ওই জরিপ। মানবিক মূল্য কত? ১৯৮০-এর দশকে ভারতে রোড ইউজার কস্ট গবেষণার ক্ষেত্রে, দুর্ঘটনার ফলে পেইন, গ্রিফ অ্যান্ড সাফারিংস (পিজিএফ) ধরা হয়েছিল মোট অর্থনৈতিক ক্ষতির ২০ শতাংশ হিসেব করে। ভারতে পরবর্তী গবেষণাগুলোতে এবং ১৯৯৫ সালে নেপালেও পিজিএফ একই ভাবে হিসেব করা হয়েছিল। সে হিসেবে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার জীবনের মানবিক মূল্য বা পিজিএফ গড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা ১২ হাজার টাকার মতো, এবং সামান্য আহতদের জন্য তা ৯৭০ টাকার মতো। কোন ধরনের যানবাহন কী পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়ে? সরকারের এই গবেষণায়, যেসব দুর্ঘটনার পর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না, সেগুলোকে 'সাধারণ দুর্ঘটনা' বলা হচ্ছে। অন্যদিকে 'মারাত্মক দুর্ঘটনা' শব্দটি এমন ধরনের আহতের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রোগীকে রাতারাতি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এমনকি দুর্ঘটনার পর ৩০ দিনের মধ্যে মারা যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তবে দুর্ঘটনার দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মারা গেলে তাকে নিহত বলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে। বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক: আইন মানার প্রবণতা কতটা?", "doc2": "Ndèye Khady Sy est une actrice-comédienne très célèbre au Sénégal, surtout dans les années 2000. Sa carrière a subi un brusque arrêt, elle a été foudroyée par un AVC en 2011. Si elle a pu survivre à cet accident vasculaire cérébral, elle en garde encore les séquelles. Nos reporter Papa Atou Diaw et Franck Noudofinin sont allés à sa rencontre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51005028", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51178719", "doc1": "যুগলরা যখন পরস্পর আবেগীয় কোন টান অনুভব করে না তখন আসলে তারা কী করতে পারে? পরিচয় গোপন রাখতে এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সবার নাম বদলে দেয়া হয়েছে। সারা বিশ্বে যুগলরা শোয়ার ঘরে দূরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলে থাকে, যদিও ওই যুগল এবং বৃহত্তর পরিবারের ক্ষেত্রে এই অবস্থা বাস্তবিক পক্ষে তালাকের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিবিসি এ ধরণেরই কিছু যুগলের সাথে যারা \"আ���েগ শূন্যতা\" অনুভব করছেন তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছে এবং থেরাপিস্টদের সাথে এর সমাধানের বিষয়ে জানতে চেয়েছে। বৈবাহিক আবেগ শূন্যতা \"সত্যি করে বলতে গেলে আমি আসলে বলতে পারবো না যে আমি বিবাহিত নাকি তালাক প্রাপ্ত,\" বলছিলেন কামাল (এখানে তার আসল নাম দেয়া হয়নি)। লন্ডনের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক কনসালটেন্ট তার স্ত্রী থুরায়ার সাথে ২০ বছর ধরে সংসার করছেন এবং তাদের দুটি ছেলে রয়েছে যাদের বয়সও ২০ বছরের কাছাকাছি। আরো পড়তে পারেন: বিয়ের পর কেমন হয় নববধূর অভিজ্ঞতা 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' সন্তান জন্মের পর মানসিক সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাও অনেক যুগল বলেন যে, তাদের মধ্যে কোন ধরণের আবেগ কাজ করে না ৪৬ বছর বয়সী কামাল একজন সক্রিয় সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক যার ফেসবুকে শত শত ফলোয়ার রয়েছে। তবে নিজের স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে বলতে বলায় তিনি জানান যে, \"এতে অনেকটা মন্দা চলছে: প্রগাঢ় ভালবাসা থেকে এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে পরিণত হয়েছে। ঠিক যেমনটা কাজের জায়গায় দুই জন সহকর্মী একে অপরের প্রতি অনুভব করে\"। \"এটা শুরু হয় যখন আমাদের প্রথম ছেলে জন্মগ্রহণ করে তখন। মনে হতো যে আবেগ এবং যৌন আকর্ষণ জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। এর পর থেকে এরকমই চলছে,\" তিনি বলেন। \"সে যখন আলাদা ঘুমাতে চাইতো তখন আমি নানা অজুহাত খুঁজতাম, এমনকি আমাদের ছেলের জন্মের কয়েক মাস পরেও। আমি বলতে থাকতাম যে এটা হয়তো হরমোন বা প্রসব পরবর্তী মেজাজ পরিবর্তনের কারণে হয়েছে।\" \"আমি অনেক বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেছি, বিশেষ করে তখন, যখন এটা বেশ সময় ধরে চলছিল। আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর, সে হয়তো আমাদের মধ্যে আর কোন ধরণের আবেগময় বা যৌন সম্পর্ক চাইতো না।\" কামাল স্মৃতিচারণ করে বলেন কিভাবে একদিন তার স্ত্রী তাকে বলেছিল, \"বাচ্চাদের মতো আচরণ বন্ধ করো\" যখন সে বলেছিল যে তার রোমান্স দরকার। \"যখনই আমি তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতাম, সে বলতো আমার একজন বাবার মতো আচরণ করা উচিত।\" \"থুরায়া মনে করে যে সে একজন আদর্শ স্ত্রী কারণ সে বাচ্চাদের ও বাসার খেয়াল রাখে এবং পুরো পরিবারকে আঁকড়ে রাখে। আমার মনে হয় একজন মা এবং একজন গৃহিণী হিসেবে সে খুব ভাল করছে কিন্তু সেটা সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।\" রোমান্স কি দীর্ঘস্থায়ী হয়? অনাকাঙ্ক্ষিত কামালের হতাশা শিগগিরই বাড়তে থাকে। সে নিজেকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করে এবং স দূরে সরে যেতে শুরু করে। সে বাড়ি ফিরে এসে নিজের ঘরে আরাম করতো এবং ফেসবুকের শত শত বন্ধুর সাথে ভার্চুয়াল জগতে সময় কাটাতো। তাদের মধ্যে নারী অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না যারা তার চিন্তাকে পছন্দ করতো। সে মাঝে মাঝে তার সঙ্গীতের যন্ত্র বাজিয়ে তা ফেসবুক পেইজে পোস্ট করতো। যখন অনেক বেশি \"লাইক\" আসা শুরু করলো তখন সে \"আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করলো\"। \"যা লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল তা ধীরে ধীরে \"রোমান্টিক এবং যৌন সম্পর্কে\" পরিণত হতে শুরু করলো,\" কামাল বলেন। \"আমার বিয়েটা প্রাণহীন এবং আমি আবেগিয়ভাবে মৃত অনুভব করার সময় যখন আমার প্রতি আকর্ষণীয় নারীরা আগ্রহ দেখাতো, তখন তা উপেক্ষা করা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়তো।\" অনেক সময় অসুখী যুগলরা সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝুকে পড়ে কামাল নিশ্চিত যে, সে শুধু একা এ ধরণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না: \"মানুষ হয়তো আমায় নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করবে, আমিই একমাত্র নই। আমার মতো আরো অনেকেই আছে- আমার পরিচিত জনদের মাঝেই তাদের সংখ্যা কম নয়।\" সে একটি দ্বৈত জীবন গড়ে নিয়েছে, একদিকে সে একজন \"আদর্শ বাবা এবং স্বামী\" অন্যদিকে সে ছুটির সময়ে \"তার ভালবাসার\" সাথে দেখা করে। কোন ধরণের অজুহাত না টেনে, সমাজবিজ্ঞানী হামিদ আল হাশিমি মনে করেন কামাল যদি তার \"স্ত্রীর সাথে খোলাখুলি আলোচনা করতো যে সে কি চায়\" তাহলে সেটি তার জন্য বেশি ভাল হতো। সমঝোতা হতে পারে মূল উপায় \"গুরুত্ব দেয়া না হলে পরিস্থিতি কোথায় যেতে পারে সে বিষয়ে তার স্ত্রীকে জানানো উচিত ছিল,\" আল-হাশিমি বলেন। \"সব সময়ই সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মাঝামাঝি একটি জায়গা ঠিক করে নেয়া; যা উভয় পক্ষের জন্যই সমঝোতার জায়গা, যা ভুল এবং ক্রমবর্ধমান একাকীত্ববোধকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।\" আল-হাশিমি জোর দিয় বলেন যে, উভয় পক্ষেরই দোষ রয়েছে।\"স্ত্রীরও উচিত নয় বৈবাহিক জীবনের আবেগময় এবং যৌন বিষয়টিকে উপেক্ষা করা- যা খুবই স্বাভাবিক বিষয় এবং যা ভালবাসা ধরে রাখার জন্য জরুরী।\" থেরাপিস্ট এবং কাউন্সিলর আমাল আল হামিদ মনে করেন, \"আমাদের যা করার ছিল তার সবই করেছি- এধরণের কথা বলা বন্ধ করতে হবে।\" \"অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা কারো জন্যই সুফল বয়ে আনে না,\" তিনি বলেন। এর পরিবর্তে তিনি ভাল জিনিস নিয়ে ভাবার পরামর্শ দেন, যেমন আগের স্মৃতি এমন সময় যখন তারা এক সাথে কাজ করে কোন প্রতিবন্ধকতা পার করেছিল।\" \"প্রত্যেকেরই সম্পর্ক ভাল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কারণ ইতিবাচকতা সংক্রামক,\" তিনি বলেন। মনোবিজ্ঞানী আমাল আল হামিদ মনে করেন, দাম্পত্য সম্পর্ক উন্নয়ন শুরু হতে পারে সাধারণ কিছু বিষয় দিয়ে যেমন ধন্যবাদ দেয়া কিংবা রাগ দেখানোর পরিবর্তে হেসে দেয়া অপরাধ বোধ মিত্রা এবং রুস্তম-চল্লিশের কোটায় থাকা ইরানের দম্পতি। ২০০৫ সাল থেকে বার্মিংহামে তাদের দুই মেয়ের সাথে বাস করেন তারা। দশ বছর আগে জরায়ুর ক্যান্সারের সাথে সাথে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা নেন মিত্রা। যার কারণে একটি স্তন, ডিম্বাশয় এবং জরায়ু হারাতে হয় তাকে। এ অবস্থাকে তাকে গভীরভাবে আঘাত করে তাকে শক্তিহীন এবং বিষণ্ণতায় ডুবিয়ে দিয়েছিল। অস্ত্রোপচার তার জীবন ফিরিয়ে দিলেও তার যৌন জীবন শেষ করে দিয়েছিল, তিনি বলেন, \"এখন আমার একমাত্র স্বস্তি শুধু আমার দুই মেয়ে।\" যখন তার স্বামী অন্য কোথায় ভালবাসা খুঁজতে শুরু করে তখন সে এটা বিশ্বাসই করতে পারেনি।যখন সে জানতে পারে যে তার স্বামী কী করছে, তখন সে স্বামীকে তার এবং অন্য নারীর মধ্যে যেকোন একজনকে বেছে নিতে বলে। সে তাকেই বেছে নেয় কারণ \"সে জানতো যে সে যদি অন্য নারীকে বেছে নেয় তাহলে তাকে তার মেয়েদেরকেও হারাতে হবে।\" দাম্পত্য বিষয়ে কাউন্সেলিংকে অনেক যুগল কঠিন মনে করতে পারে \"যদি আর কোন উপায় থাকতো তাহলে শেষ পর্যন্ত আমি তার পাশে থাকতাম। কারণ বিয়ে ভাল এবং খারাপ-উভয় সময়ের জন্যই। পুরুষদের হয়তো আরো কম স্বার্থপর হতে শিখতে হবে,\" সে বলে। এখনো, মিত্রা তার স্বামীর চাহিদা মেটাতে পারে না এবং বলে যে এর জন্য সে অপরাধবোধে ভোগে। \"সে আমাকে ত্যাগ করবে আমি সেটাও মানতে পারবো না। নারী হিসেবে আমি অনাকাঙ্ক্ষিত অনুভব করা সহ্য করতে পারবো না।\" এখন, বই পড়ার মধ্যেই রুস্তম তার সান্ত্বনা খোজার চেষ্টা করে। \"কাজ ছাড়া সে অন্য তেমন কিছুই করে না। সে সব সময়ই চুপ থাকে। এমনকি তার মেয়েরাও বলে যে, সে বিরক্তিকর,\" মিত্রা বলে। বৈবাহিক কাউন্সেলিংয়ের মারাত্মক প্রয়োজন থাকলেও, এশিয়া এবং পশ্চিমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা সেটা নিতে চায় না। বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের দায়িত্বের কারণেও অনেক অসন্তুষ্ট থাকতে পারে অর্থনৈতিক সহায়তা ২৯ বছর বয়সী সামার ২০১৫ সালে সিরিয়া থেকে তুরস্কে আসে য���খানে \"শরণার্থীর জীবন বিশেষ করে নারী শরণার্থী যাদেরকে প্রায়ই হয়রানির মুখে পড়তে হয়\" তার অবসান করতে সে একজন তুর্কি পুরুষকে বিয়ে করে। সে মনে করেছিল যে, বিয়েই হচ্ছে \"একমাত্র পরিশীলিত সমাধান\"। কিন্তু সে বিস্ময়ের মুখে পড়ে যখন সে জানতে পারে যে তার স্বামীর পরিবার ও সামাজিক অবস্থা তার নিজের তুলনায় অনেক আলাদা। বিবিসিকে সে বলে, \"আমার পুরো জীবন বাচ্চাদের খেয়াল রাখা, রান্না করা, পরিষ্কার করা এবং তার(স্বামীর) চাহিদা পূরণেই কেটে যাবে।\" এমন একজনকে ব্যক্তিকে যে নিজের অনুমতি ছাড়া \"নারী প্রতিবেশীদের সাথেও দেখা করতে যেতে দেয় না\" বিয়ে করার একমাত্র কারণ ছিল আর্থিক সহায়তা, যা তার দুই সন্তানকে দেখাশোনার জন্য জরুরী। \"যদি আমার অন্য কোন উপায় থাকতো তাহলে তার সাথে আমি একদিনও থাকতাম না। আমার পরিবারের সাথে থাকার সময় আমার সাথে কেউ এমন ব্যবহার করেনি। আমার মতামত, মর্যাদা, অনুভূতির কোন মূল্য নেই এখানে। সে যা চায় তা হলো ইচ্ছানুযায়ী যৌন চাহিদা পূরণ করা।\" গোপনে বিবাহিত ইরবিলের রৌজ বলেন, তার ৬০ বছর বয়সী বাবা, ৪৭ বছর বয়সী মায়ের সাথে কয়েক দশক ধরে ঘুমায়নি। তার মা জানে যে, তার বাবা \"গোপনে অন্য নারীকে বিয়ে করেছে,\" কিন্তু পুরো বিষয়টিই সে ঢেকে রাখতে চায়। যদি এটি জানাজানি হয় তাহলে তিনি এ নিয়ে কানাঘুষা সামাল দিতে পারবেন না। \"আমার বাবা একজন ধনী মানুষ এবং এ কারণেই ৩০ বছর বয়সী একজন তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। আমার মা বলিষ্ঠ চরিত্রের এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন, কিন্তু সম্মান রক্ষার জন্য তিনি এ নিয়ে কথা বলতে চান না বা তালাক চান না। তিনি তার সম্মান বজায় রাখতে চান,\" রৌজ বলেন। বছরের পর বছর ধরে তার মা মানসিক যাতনা সহ্য করে গেছে কিন্তু সে এটি গোপন রাখে কারণ সে নিজেকে দুর্বল দেখাতে চান না, রৌজ বলেন। তিনি দেখান যে, তিনি ভাল আছেন এবং সুখী। কিন্তু বাস্তবে সে অনেক দুঃখী। একই সম্পর্কের মধ্যে দুই জনেরও বেশি মানুষ জড়িত থাকতে পারে তার মা এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নিতেও রাজি হয়নি কারণ সে তার স্বামীর বিয়েকে গোপন রাখতে চায়। ফিরে আসার সম্ভাব্য উপায় কাউন্সিলর আল হামিদ মনে করেন, সম্পর্ক ভাল করতে হলে দুজনেরই সেটি সারিয়ে তোলার জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকাটাই একমাত্র উপায়। \"যদি তাদের মধ্যে একজনও অন্য জনকে কোণঠাসা করে ফেলেন, আপত্তি তোলেন, তাহলে সেটি শুধু খারাপই হবে। তাদের ��োলামেলা কথা বলতে হবে এবং সেসময় শব্দ চয়ন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তা নাহলে তারা পুরো পুরি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।\" সামাজিক গবেষক ড. হামিদ আল-হাশেমি মনে করেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব দুজনেরই এবং এটি যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তার দায়ভারও দুজনকেই নিতে হবে। আল-হামিদ বলেন, অনেক সময় এক পক্ষ শুধু সব কিছু ঠিক করতে চায় কিন্তু অন্য পক্ষ আগের মতোই থাকে এবং পরিবর্তনের যেকোন প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দেয়। যেকোন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, দুই পক্ষকেই শিখতে হবে যে কিভাবে কোন ঘটনা বাড়তে না দেয়া যায়। তাদের প্রায়ই কথা বলতে হবে, আপত্তিকর কোন শব্দ বলা যাবে না, বলেন আল হামিদ। এমন আচরণ সব সময়ই পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে, তিনি বলেন। \"যদি স্বামী তার স্ত্রীকে কোন উপহার দিয়ে অবাক করে না দেয় তাহলে সে কাজটি স্ত্রীকেই প্রথমে শুরু করতে হবে। সবসময় পদক্ষেপের জন্য বসে না থেকে তা শুরু করে দিলে সেটি অনেক বেশি কার্যকর হয়,\" তিনি বলেন। \"সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে কখনোই হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না, চেষ্টা করে যেতে হবে,\" তিনি বলেন", "doc2": "Combien de temps dure le romantisme ? Des couples, dans le monde entier, évitent de discuter de la séparation , bien que le mal causé puisse dépasser celui du divorce. La BBC a exploré des cas de couples connaissant un \"vide émotionnel\" et a demandé aux thérapeutes des moyens possibles de renverser la situation. Désert conjugal \"Pour être honnête, je ne peux pas dire si je suis marié ou divorcé\", explique Kamal*. Le consultant londonien en télécommunications est marié à sa femme Thuraya depuis vingt ans et le couple a maintenant deux fils dans la vingtaine. Certains couples décrivent être dans un \"vide émotionnel\" L'homme de 46 ans est un commentateur social et politique actif avec des centaines de followers sur Facebook, mais en parlant de sa relation avec sa femme, il dit que cela a \"pris un tournant : de l'amour passionné à une sorte de respect mutuel comme vous trouverais entre deux collègues au travail\". A lire aussi : \"Tout a commencé après la naissance de notre premier fils. Il semblait que l'attirance émotionnelle et sexuelle soit sortie par la fenêtre. C'est le cas depuis\", dit-il. \"J'ai essayé de trouver des excuses quand elle a choisi de dormir séparément, même des mois après la naissance de notre fils. Je n'arrêtais pas de dire que ce devait être des hormones ou des sautes d'humeur post-natales. \"J'ai consulté des experts, d'autant plus que cela semblait durer. À la naissance de notre deuxième fils, elle ne semblait pas vouloir de contact émotionnel ou sexuel entre nous.\" Kamal se souvient de la façon dont elle lui a demandé une fois de \"cesser d'agir comme un adolescent\" quand il a parlé de la nécessité de la romance. \"Quand j'ai essayé de l'approcher, elle a dit que je devrais me comporter comme un père maintenant\", ajoute-t-il. \"Thuraya pense qu'elle est l'épouse idéale parce qu'elle s'occupe des enfants et de la maison et des apparences d'une famille. Je pense qu'elle fait un très bon travail en tant que mère et femme au foyer - mais c'est tout.\" Indésirable La frustration de Kamal s'est vite manifestée. Il s'est senti indésirable et a commencé à prendre du recul. Il se retirait souvent dans sa chambre et se consolait avec la compagnie virtuelle de centaines d'amis Facebook. Parmi eux, les admiratrices ne manquent pas et trouvent ses réflexions intéressantes. Il jouait parfois de son instrument de musique et le publiait sur sa page Facebook. Lorsque davantage de \"j'aime\" sont arrivés, il \"a recommencé à reprendre en confiance\". A lire aussi : Ce qui a commencé comme des commentaires et des goûts s'est rapidement transformé en \"contact romantique et sexuel\", dit Kamal. \"J'ai eu du mal à résister à de jolies jeunes femmes qui s'intéressaient à moi, à un moment où je me sentais mort émotionnellement et notre mariage sans vie.\" Mécontents, certains partenaires se tournent parfois vers les réseaux sociaux Kamal est sûr qu'il n'est pas seul dans cette situation : \"Les gens peuvent me juger, mais je ne suis pas le seul. Il y en a beaucoup plus comme moi - des dizaines parmi mes connaissances.\" Il a développé une double vie de \"père et mari parfait\" à l'extérieur, alors qu'il a des relations plus \"intimes\" le week-end. Plutôt que d'essayer de trouver des excuses, le sociologue Hamid al-Hashimi pense que cela servirait mieux Kamal \"à discuter ouvertement de ses besoins et de la situation avec sa femme\". Le compromis peut être la solution \"Il aurait dû lui dire ce qui se passeraient si on ne traitait pas le problème\", dit al-Hashimi. \"Souvent, le meilleur moyen est de trouver un terrain d'entente; un compromis pour les deux parties, aidant à éviter les erreurs et le sentiment croissant d'aliénation.\" Al-Hashimi souligne que les deux parties sont en faute. \"La femme ne doit pas négliger la partie sexuelle et émotionnelle de tout mariage - quelque chose à la fois naturel et essentiel pour maintenir l'amour.\" Pour le thérapeute et conseiller Amal al-Hamed, il est essentiel que les gens cessent de dire \"nous avons fait tout ce qui pouvait être fait\". \"Cela ne sert à rien de blâmer l'autre et de tomber dans le mode victime\", dit-elle. Elle conseille plutôt de penser aux bonnes choses, même aux souvenirs passés et aux moments où ils ont réussi à surmonter les difficultés ensemble. \"Chacun devrait essayer de prendre l'initiative dans la relation. La positivité est contagieuse\", ajoute-t-elle. La psychologue Amal al-Hamid estime que l'amélioration de la relation conjugale commence par les choses les plus simples telles que la répétition du mot \"merci\" et le sourire au lieu de grommeler Sentiment de culpabilité Mitra et Rustam sont un couple iranien d'une quarantaine d'années. ls vivent avec leurs deux filles adolescentes à Birmingham depuis 2005. Il y a dix ans, Mitra a été diagnostiquée d'un cancer du sein suivi d'un cancer de l'utérus. Cela lui a coûté un de ses seins, ses ovaires et son utérus. Cela a profondément affecté son énergie et augmenté son anxiété. Les opérations ont presque coupé sa libido, dit-elle. \"Maintenant, ma seule fenêtre sur la vie est à travers mes filles.\" Elle ne pouvait pas le croire quand son mari a cherché l'amour ailleurs. Quand elle a découvert ce qu'il faisait, elle lui a fait choisir entre elle et l'autre femme. Il l'a choisie car \"il savait qu'il perdrait aussi ses filles s'il choisissait l'autre femme\". Les couples peuvent avoir du mal à demander des conseils en matière de mariage \"Si c'était l'inverse, je l'aurais soutenu jusqu'à la fin. Le mariage est pour le meilleur et pour le pire. Peut-être que les hommes devraient apprendre à être moins égoïstes\", a-t-elle ajouté. Pourtant, Mitra admet qu'elle ne peut pas répondre aux besoins de son mari et dit qu'elle se sent coupable. \"Pendant ce temps, je ne peux pas accepter qu'il m'abandonne. En tant que femme, je ne peux pas me sentir indésirable.\" Pour l'instant, Rustam trouve son seul réconfort dans les livres. \"A part son travail, il ne fait pratiquement rien d'autre. Il est toujours silencieux. Même sa fille dit qu'il est ennuyeux\", explique Mitra. Malgré le besoin désespéré de conseils conjugaux, beaucoup dans les communautés asiatiques et occidentales ont du mal à avaler la pilule. Les gens peuvent devenir insatisfaits de leurs rôles au sein d'un mariage Aide financière Samar, 29 ans, a quitté la Syrie pour la Turquie en 2015 où elle a épousé un Turc pour échapper à \"la vie d'une réfugiée, en particulier une femme réfugiée qui est souvent victime de harcèlement\". Elle pensait que le mariage était \"la seule solution décente\" mais elle a été choquée de constater que la famille et le milieu social de son mari étaient très différents des siens. \"Ma vie entière consiste à prendre soin des enfants, de cuisiner et de nettoyer, et de répondre à ses demandes\", a-t-elle déclaré à la BBC. La seule raison pour laquelle elle reste mariée à un homme qui lui refuse \"même des visites à des voisines, sauf s'il l'approuve\", dit-elle, c'est le soutien financier qu'il lui offre, lui permettant de s'occuper de ses deux enfants. \"Si j'avais d'autres moyens, je ne resterais pas avec lui un jour de plus. Je n'ai jamais été traitée comme ça quand j'étais avec ma famille. Mon opinion, ma dignité, mes sentiments ne comptent pour rien ici. Ce n'est que du sexe à la demande qu'il recherche.\" Il peut y avoir plus de deux personnes dans une relation Marié en secret Rouj, d'Erbil, dit que son père, 60 ans, n'a pas couché avec sa mère, 47 ans, depuis des décennies. Sa mère est consciente que son père \"est secrètement marié à une autre femme\", mais préfère garder le tout secret. Elle ne pourrait pas supporter les ragots si on apprenait la situation. \"Mon père est un homme riche et c'est la seule raison pour laquelle une femme d'une trentaine d'années a accepté de l'épouser. Ma mère est forte et financièrement indépendante, mais elle ne veut pas parler ou demander le divorce afin de ne pas ternir notre réputation. Elle veut garder sa fierté \", dit Rouj. Sa mère souffre émotionnellement depuis des années mais elle garde le secret parce qu'elle ne veut pas avoir l'air pathétique, dit Rouj. Elle prétend qu'elle va bien et qu'elle est heureuse, mais en réalité, elle est profondément triste. Sa mère a refusé de demander un avis juridique parce qu'elle voulait garder l'autre mariage de son mari secret. Un retour possible Le conseiller al-Hamid considère que le désir des deux parties de réparer les choses est la seule issue. \"Si l'un d'eux marginalise l'autre ou l'offense, les choses ne feront qu'empirer. Ils ont besoin de parler ouvertement et de choisir leurs mots avec soin. Sinon, ils sont totalement séparés.\" Le chercheur en sciences sociales, le Dr Hamid al-Hashemi, estime que la responsabilité de la relation incombe aux deux parties et que les deux sont responsables de tout échec. Parfois, soutient al-Hamid, une partie essaie de changer les choses tandis que l'autre s'accroche au statu quo, frustrant toute tentative de changement. Afin de surmonter les difficultés, les deux partenaires doivent apprendre à ne pas laisser les choses s'accumuler. Ils devraient parler fréquemment, en utilisant les bons termes afin de ne pas offenser, ajoute al-Hamid. Cela aide toujours à initier ce changement, dit-elle. \"Si le mari ne surprend pas sa femme avec un cadeau, elle peut, elle, être la première à le faire. Prendre des initiatives peut engendrer du positif\", dit-elle. \"Le plus important n'est pas d'abandonner, mais de continuer d'essayer\", conclut-elle. * Tous les noms ont été modifiés pour protéger l'identité des personnes interrogées."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50526905", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50423910", "doc1": "ডেনেরেস টার্গারায়েন চরিত্রে এমিলিয়া ক্লার্ক অভিনেতা ড্যাক্স শেফার্ডের পডকাস্টে তিনি বলেন যে কিছু বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করার আগে তিনি বাথরুমে গিয়ে কাঁদতেন - তবে নগ্নতা নেই এমন অনেক দৃশ্যের ক্ষেত্রেও এরকম পরিস্থিতির সামনে তাকে পড়তে হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সিরিয়ালে ডেনেরিস টার্গারায়েন হিসেবে যেই চরিত্রতে তিনি অভিনয় করেন, সেখানে চরিত্রের খাতিরে প্রায়ই তাকে নগ্ন হতে হতো। তিনি মনে করেন কাহিনীর খাতিরে সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল - কিন্তু সিরিয়ালটি যদি বর্তমান সময়ে বানানো হতো তাহলে এটি 'ভিন্ন ধরণের' হতো। লন্ডনের বাসিন্দা এমিলিয়া ক্লার্ক যখন চরিত্রটিতে অভিনয়ের সুযোগ পান, তখন তার বয়স ২৩ বছর। সেটি ছিল অভিনয় জগতে তার প্রথম বড় কোনো কাজের সুযোগ। এমিলিয়া বলেন নগ্নতা সম্পর্কে তার ধারণা এখন ভিন্নরকম \"আমি চরিত্রটিতে অভিনয় করবো বলে নিশ্চিত করার পর তারা আমাকে চিত্রনাট্য পাঠায়। সেটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয় 'ওহ, তাহলে এই ব্যাপার!'\" \"কিন্তু আমি তখন মাত্র অভিনয় সম্পর্কে পড়াশোনা শেষ করেছি, তাই প্রস্তাবটিকে আমি চাকরি হিসেবেই গ্রহণ করি।\" \"যদি এতগুলো খোলামেলা দৃশ্য চিত্রনাট্যতে থাকে, তাহলেই নিশ্চয়ই কাহিনীর কারণেই এর প্রয়োজন রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে আমার সেরকম দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি নেই।\" সিরিজটি�� চিত্রায়ন করা শুরু হওয়ার পর প্রথম কিছুদিন হীনমন্যতায় ভুগেছেন বলে জানান এমিলিয়া ক্লার্ক। 'লাস্ট ক্রিসমাস' এর কলাকুশলীদের সাথে এমিলিয়া \"নগ্ন বা খোলামেলা দৃশ্য থাক বা নাই থাক, প্রথম মৌসুমের প্রায় পুরো সময়টাতেই আমার মনে হয়েছে যে আমি এই কাজের জন্য যোগ্য নই। আমার কাছ থেকে কিছুই আশা করা যায় না।\" \"আমি বাথরুমে গিয়ে কাঁদতাম এবং ফিরে এসে ঐ দৃশ্যে অভিনয় করতাম। শেষপর্যন্ত ঠিকঠাকই হতো দৃশ্যায়ন।\" তিনি জানান প্রথম মৌসুমে তার নির্যাতনকারী স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করা জেসন মোমোয়া পুরো প্রথম মৌসুমে তাকে সহায়তা করেছেন। ২০১৩ সালে গেইম অব থ্রোনস এর প্রিমিয়ারে এমিলিয়া ও জেসন মোমোয়া ২০০৯ ও ২০১০ এর দিকে এমিলিয়ার মনে হতো যে এই সিরিজে তিনি 'শুধু নগ্ন দৃশ্যেই অভিনয় করছেন।' কিন্তু তারপরেও চরিত্রটির দৃশ্যায়নে কোনো পরিবর্তন আনার অনুরোধ করেননি তিনি। \"অনুষ্ঠানে খালিসি'র নগ্নতা নিয়ে অনেক মানুষ অনেকরকম কথা শুনিয়েছেন আমাকে। কিন্তু তাকে নির্যাতিত হতে না দেখলে মানুষ তাকে গুরুত্বই দেবে না। কাজেই আপনাকে তা দেখতেই হবে।\" এমিলিয়া এখন রোমান্টিক কমেডি 'লাস্ট ক্রিসমাস' এ অভিনয় করছেন। তিনি জানান, এখন কোনো দৃশ্যে নগ্নতা থাকা প্রয়োজন কিনা, সেবিষয়ে তিনি রীতিমত তর্ক করেন।", "doc2": "Emilia Clark dans la peau de Daenerys Targaryen S'exprimant sur le podcast de l'acteur Dax Shepard, elle dit qu'elle \"pleurait dans la salle de bains\" avant certaines scènes - mais ajoute que cela se serait produit \"qu'il y ait nudité ou non\". Son rôle de Daenerys Targaryen l'a d'abord obligée à se déshabiller beaucoup. Elle pense que c'était nécessaire pour l'histoire - mais que la série serait \"très différente\" s'il était tourné aujourd'hui. Emilia dit que son attitude à l'égard de la nudité est \"très différente\" maintenant L'actrice, originaire de Londres, a eu le rôle quand elle avait 23 ans. C'était sa première grande percée dans l'industrie du cinéma. J'ai accepté le rôle, puis ils m'ont envoyée les scripts et je les ai lus, et je me suis dit : \" Oh, voilà le piège \", a-t-elle dit au podcast. Lire aussi : \"Mais, je venais de finir mon école de cinéma et j'ai entamé ce travail.\" \"Si c'est dans le scénario, alors c'est clairement nécessaire, voilà ce que c'est et je vais y trouver un sens. Tout va bien se passer\", dit-elle. \"J'avais déjà été deux fois sur un plateau de tournage et je suis maintenant complètement nu avec tous ces gens, et je ne sais pas ce que je suis censée faire\", indique-t-elle. \"Je ne sais pas ce qu'on attend de moi, je ne sais pas ce que tu veux et je ne sais pas ce que je veux.\" \"Qu'il y ait de la nudité ou non, j'aurais passé la première saison à penser que je n'ai pas le droit d'exiger quoi que ce soit. Je n'ai pas le droit d'avoir besoin de quoi que ce soit. Peu importe ce que je ressens, je vais aller pleurer dans la salle de bains, puis je reviendrai et on fera la scène et tout ira bien\", ajoute-t-elle. Emilia et Jason lors de la première de la saison trois en 2013 Elle indique que son partenaire dans le film, Jason Momoa, qui joue le rôle du mari violent et seigneur de la guerre, l'a aidée à traverser les dures périodes de la première saison. Et, malgré le fait qu'elle pense que nous vivons dans une \"époque où la prception de la nudité à changé\", elle n'a pas voulu changer la façon dont elle a été filmée entre 2009 et 2010. \"J'ai eu tellement de gens qui m'ont dit tant de choses sur la nudité de Khaleesi dans le spectacle. Mais les gens ne se seraient pas souciés d'elle si vous n'aviez pas vu qu'elle avait été maltraitée. Il fallait donc qu'on la voit.\" Cette vidéo peut vous intéresser : Make-up Artist: tout savoir sur ce métier tendance Emilia est maintenant en vedette dans la comédie romantique Last Christmas. Elle déclare qu'elle s'est maintenant \"battue sur le plateau de tournage\" pour savoir si la nudité est nécessaire. \"Les choses sont très, très différentes. Je suis beaucoup plus à l'aise avec ce que j'aime faire\", confie-t-elle"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56931107", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57117388", "doc1": "দিল্লির দরিয়াগঞ্জে একটি টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনে লাইন পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ডের জোগানে ভাঁটা পড়েছিল আগেই, আজ বুধবার রাজধানী দিল্লির সরকারও অভিযোগ করেছে কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেকও তাদের নতুন করে আর টিকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। দিল্লিতে শতাধিক ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার এর ফলে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। রাজধানী দিল্লি ছাড়াও দেশের নানা প্রান্তেই টিকা-প্রত্যাশীরা অ্যাপে বুকিং পাচ্ছেন না, টিকাকেন্দ্রে গিয়েও তাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে বা চূড়ান্ত নাকাল হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। বস্তুত গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে মহাধূমধামে যে বিশাল টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল, একশো দিন যেতে না-যেতেই সেই কর্মসূচি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মুম্বাইতে একটি সেন্টার প্রথম দু-আড়াই মাসে ভারত প্রায় সত্তরটি দেশে সাড়ে ছয় কোটির মতো ভ্যাক্সিন রফতানিও করেছিল, কিন্তু তা বন্ধ করার পরও দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও এখন কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। ভ্যাক্সিন সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে কার্যত প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে গেছে - আর এরই মধ্যে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার আজ অভিযোগ করেছে কেন্দ্রের নির্দেশেই ভারত বায়োটেক তাদের কোভ্যাক্সিন পাঠাতে অস্বীকার করেছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া এদিন জরুরি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, \"কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা সংস্থা আমাদের চিঠি লিখে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে তারা দিল্লিকে টিকা দিতে পারবে না - কারণ তাদের কাছে দেওয়ার মতো না কি কোনও টিকাই নেই।\" মি শিশোদিয়া আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারাই এই টিকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন আর তাদের বিমাতৃসুলভ আচরণের কারণেই দিল্লিতে কোভ্যাক্সিনের শতাধিক টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। আরও পড়তে পারেন: করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পেলে কী হবে বদলে যাচ্ছে কোভিড ভাইরাস, যা জেনে রাখা জরুরি ��ীনা উপহারের টিকা বাংলাদেশে - কারা পাবেন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন? অ্যাপে বুকিং পাওয়ার পরও সেন্টার কেন বন্ধ? মুম্বাইয়ের একটি টিকাকেন্দ্রে এসে কৈফিয়ত চাইছেন ক্ষুব্ধ নাগরিকরা ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমতাসীন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র দাবি করেন, টিকার জোগান বাড়ানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে - এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এখন টিকার ফর্মুলা দিয়ে টিকা বানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মি পাত্র জানান, \"মহারাষ্ট্রের হ্যাফকিন বায়োফার্মা, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যাল লিমিটেড, ভারত ইমিউনোলজিক্যালস এরকম তিন-চারটি সরকারি সংস্থাকে কেন্দ্র কোভ্যাক্সিন বানানোর নির্দেশ দিয়েছে।\" \"ভারতের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিএমআর-ও নানা সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে, বলছে তোমরা আমাদের কাছ থেকে ফর্মুলা নাও, টিকা বানাও!\" টিকার জোগান নিয়ে বিজেপি রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানালেও টিকা পেতে সাধারণ নাগরিকরা যে নাজেহাল হচ্ছেন, তাতে কিন্তু কোনও ভুল নেই। কোউইন নামে যে সরকারি অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার কথা সেখানেও স্লট মিলছে না - আবার সাতসকালে টিকাকেন্দ্রে ওয়াক-ইন করেও নিরাশ হতে হচ্ছে বহু লোককেই। পশ্চিমবঙ্গে হলদিয়ার একটি টিকাকেন্দ্রে গত সপ্তাহে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছিল সীমা ঘোষালের। সকাল পৌনে ছটার সময় টিকাকেন্দ্রে পৌঁছেও তিনি শোনেন, সর্বোচ্চ যে ১৩০জনকে সেদিন টিকা দেওয়া যাবে তাদের সবার নাম না কি লেখা হয়ে গেছে - তাঁর আর সেদিন সুযোগ মিলবে না। তিনি বলছিলেন, \"অত সকালেও এসে শুনি দেড়শোজনের বেশি না কি নাম লেখা হয়ে গেছে! অথচ তখন সেখানে মাত্র পাঁচ-সাতজন দাঁড়িয়ে, সেন্টারের গেটও বন্ধ।\" \"তাহলে কারা নাম লিখল? কাদের নাম লিখল? আর তারা গেলই বা কোথায়, তা তো কিছুই বুঝতে পারছি না!\", বলছিলেন তিনি। কিরণ মজুমদার শ আবার টিকাকেন্দ্রগুলোতে উপছে পড়া ভিড়, ঘেঁষাঘেঁষি লাইনের জন্যই সংক্রমণের ভয় পাচ্ছিলেন তারই প্রতিবেশী আলো বণিক। মিস বণিক টিকাকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, \"এত ভিড় ঠেলে কেন ভ্যাক্সিন নিতে ঢুকতে যাব বলুন তো?\" \"করোনার ভ্যাক্সিন নিতে এসেই যদি এই গাদাগাদি ভিড়ে করোনায় আক্রান্ত হই, তার চেয়ে তো বাড়িতে বসে থাকাই ভাল\", চরম বিরক্তির সঙ্গে বলছিলেন তিনি। ভারতের বৃ��ত্তম বায়োফার্মা কোম্পানি বায়োকনের কর্ণধার কিরণ মজুমদার শ-ও সরাসরি বলছেন, \"ভারতে টিকাকরণের গতি যে হারে কমছে তাতে আমি রীতিমতো উদ্বিগ্ন বোধ করছি।\" মহারাষ্ট্রে একটি টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনে লম্বা লাইন \"বহু সেন্টারে টিকার জোগান আসছে না, আবার কোনও কোনও সেন্টার তাদের নির্ধারিত কোটাই দিয়ে উঠতে পারছে না। কোথাও তো কিছু একটা ভুল হচ্ছেই।\" তাঁর প্রশ্ন, জানুয়ারিতে ভ্যাক্সিন অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন আমরা নির্মাতা সংস্থাগুলোকে অর্ডার দিইনি, চাহিদার হিসেব কষে সাপ্লাই শিডিউল তৈরি করিনি? টিকাকরণ অভিযানের অঙ্কগুলো কষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে ও পরিকল্পনায় যে মারাত্মক ভুল হয়েছিল, সেটা ভারতে আজ দিনের মতো স্পষ্ট। তার মধ্যে প্রথম দিকে বাংলাদেশ-সহ সত্তরটি দেশে টিকা পাঠিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলা হয়েছে, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার-সহ অনেকেই এই অভিযোগ এখন বারেবারে তুলছেন।", "doc2": "La deuxième vague dévastatrice d'infections au Covid-19 en Inde signifie que le plus grand fabricant de vaccins du pays ne peut répondre à la demande d'approvisionnement Le Serum Institute (SII), basé à Pune, dans l'État du Maharashtra, dans l'ouest de l'Inde, s'était engagé à mener l'effort mondial d'inoculation des personnes vulnérables et pauvres en fabriquant 100 millions de doses du vaccin d'AstraZeneca chaque mois. Cependant, le pays étant en crise, le gouvernement a bloqué les exportations du stock de SII, réservant ainsi de précieux vaccins à ses propres citoyens. Mardi, l'exportation de cinq millions de vaccins AstraZeneca vers le Royaume-Uni a été arrêtée par le gouvernement de Narendra Modi, malgré la pression internationale et plusieurs cycles de négociations. La décision prise par l'Inde à la mi-mars de limiter les exportations de vaccins Covid-19 a entraîné des pénuries dans les pays d'Asie et d'Afrique qui étaient fortement tributaires de ses vaccins. On ne sait pas quand les exportations reprendront complètement, ni comment l'Inde prévoit de traiter l'arriéré de commandes. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Les exportations de vaccins Covid ont chuté de 93 % entre mars et avril - passant de 28 millions de doses à deux millions - selon le ministère indien des affaires étrangères. La chute a commencé à la mi-mars, quelques semaines avant l'annonce d'une décision de donner la priorité au programme de vaccination national. La pénurie d'approvisionnement et d'exportation de vaccins en provenance du SII et de l'Inde se fait sentir dans le monde entier. Plus de 60 pays sont directement touchés par la crise, principalement en Afrique. Gavi, l'alliance mondiale pour les vaccins qui gère le programme Covax, lequel prévoit de fournir deux milliards de doses aux pays à faible revenu (dont l'Inde) d'ici la fin de l'année, s'est tournée vers d'autres pays pour renforcer son approvisionnement en vaccins. De nombreux pays, ainsi que l'initiative Covax, s'étaient largement appuyés sur la production par le SII de Covidshield, comme le vaccin d'AstraZeneca est connu en Inde. \" L'installation de Covax ne prévoit plus de livraisons de vaccins produits par le Serum Institute of India \", a déclaré un porte-parole de Gavi. \"SII devait livrer un total de 110 millions de doses à l'installation Covax à partir de l'Inde entre février et mai. Sur cette allocation, seules 20 millions de doses ont été livrées jusqu'à présent.\" En conséquence, il y a un retard dans l'approvisionnement des pays qui devaient bénéficier de la livraison de mai. Gavi a dit à ces pays qu'ils devaient s'attendre à recevoir des doses d'ici la fin juin, soit un mois plus tard que prévu, a déclaré un porte-parole. La semaine dernière, Gavi a signé des accords avec d'autres fournisseurs de vaccins - Moderna et Novavax - afin de garantir un total combiné de 850 millions de doses supplémentaires, comblant ainsi le vide laissé par SII. Le PDG de SII, Adar Poonawalla, a accusé des personnes au pouvoir, y compris des ministres et des chefs d'entreprise, de le harceler en exigeant des livraisons de Covidshield (nom du vaccin d'AstraZeneca en Inde). \"Menacer est un euphémisme\", a-t-il déclaré au journal britannique The Times. \"Le niveau d'attente et d'agression est vraiment sans précédent. C'est accablant. Tout le monde pense qu'il doit se faire vacciner. Ils ne peuvent pas comprendre pourquoi quelqu'un d'autre devrait l'avoir avant eux.\" Au début de la pandémie, M. Poonawalla a pris un risque en augmentant la capacité de production de vaccins de la SII de 1,5 milliard à 2,5 milliards par an, pour un coût de 800 millions de dollars (plus de 432 milliards FCFA). Adar Poonawall, le PDG milliardaire du Serum Institute, affirme avoir été menacé par des personnalités puissantes exigeant des vaccins. Cependant, plusieurs mois plus tard, alors que le pays se débat dans sa brutale vague d'infections, le SII et Poonawalla lui-même sont sous surveillance. Le Serum Institute a fait l'objet d'une série de poursuites de la part de gouvernements du monde entier pour n'avoir pas respecté les accords contractuels en matière d'approvisionnement et, en avril, AstraZeneca a envoyé une mise en demeure au fabricant pour des retards. Juste avant que le Royaume-Uni ne bloque les voyageurs étrangers, M. Poonawalla s'est rendu à Londres pour rejoindre sa femme et ses enfants - qui vont à l'école au Royaume-Uni - à la suite des menaces présumées. Il a déclaré qu'il prévoyait de rester \"longtemps\", tout en bénéficiant d'une sécurité financée par le gouvernement indien. Il a été accusé d'avoir abandonné l'Inde au milieu de la crise, bien que M. Poonawalla affirme que son départ était en partie dû à des obligations professionnelles au Royaume-Uni. Bien qu'il n'y ait pas d'interdiction pure et simple des exportations, on ne sait pas quand et dans quelle mesure les exportations reprendront. Les statistiques de Our World in Data montrent que le programme de vaccination de l'Inde est en train de ralentir en raison d'une pénurie de vaccins. Cela pourrait retarder la reprise des exportations. La pénurie de vaccins se fait cruellement sentir dans les pays qui dépendent des dons, comme le Bangladesh. Les retards et l'incertitude ont inquiété des pays comme le Népal et le Bangladesh qui ont payé à l'avance les doses. Selon le journal népalais The Kathmandu Post, le 10 avril, le pays a interrompu sa campagne de vaccination après que l'Inde a restreint ses exportations de vaccins. L'Inde a fourni près de 2,5 millions de doses au Népal, dont un million dans le cadre d'accords commerciaux. Selon le Kathmandu Post, le Népal doit encore recevoir un million de doses supplémentaires de l'Inde, bien qu'il ait payé 80 % du coût. \"Le Népal prévoit d'administrer la deuxième dose du vaccin à 1,35 million de personnes de plus de 65 ans en mai, mais le gouvernement ne dispose pas d'un stock suffisant\", indique le rapport. Le journal indien The Hindu a cité le ministre népalais des Affaires étrangères, Pradeep Gyawali, qui a déclaré qu'il ne serait pas possible pour le Népal de vacciner sa population âgée si l'Inde ne livrait pas rapidement le lot de vaccins. Le 4 mai, le journal bangladais Dhaka Tribune a déclaré que les stocks du vaccin Oxford-AstraZeneca seraient épuisés dans dix jours au rythme actuel de la vaccination, laissant 1,5 million de personnes dans l'attente d'un nouvel approvisionnement en provenance de l'Inde afin de recevoir leur deuxième vaccin. \"Une crise est imminente car le Bangladesh a besoin de 2,79 millions de doses supplémentaires pour achever la procédure\", indique le journal. Le Bangladesh a ensuite suspendu les enregistrements de vaccins en raison du retard des importations en provenance de l'Inde, selon le journal indien Economic Times. Il a déclaré que le Bangladesh avait approuvé l'utilisation d'urgence des vaccins Sinopharm de la Chine et Sputnik de la Russie. L'Organisation mondiale de la santé a également accordé ce mois-ci une autorisation d'urgence pour le vaccin Sinopharm fabriqué en Chine, condition préalable à sa fourniture à Covax. \"L'ajout de ce vaccin a le potentiel d'accélérer rapidement l'accès au vaccin Covid-19 pour les pays qui cherchent à protéger les agents de santé et les populations à risque\", a déclaré le Dr Mariângela Simão, sous-directrice générale de l'OMS pour l'accès aux produits de santé. \"Nous exhortons le fabricant à participer à l'installation de Covax et à contribuer à l'objectif d'une distribution plus équitable des vaccins.\" La Chine espère combler le vide laissé par le SII avec son vaccin Sinopharm, qui a reçu l'autorisation d'utilisation d'urgence de l'OMS ce mois-ci. Trois jours après l'approbation, la porte-parole du ministère chinois des affaires étrangères, Hua Chunying, a déclaré que le pays allait fournir 10 millions de doses à l'initiative de Covax et qu'il travaillait aux côtés de l'OMS pour que cela devienne une réalité. Plusieurs pays du monde entier concluent des accords avec la Chine pour acheter des doses de Sinopharm, notamment l'Égypte qui est allée jusqu'à obtenir le droit de fabriquer le vaccin sur son propre sol. La ministre égyptienne de la santé, Hala Zayed, a déclaré qu'elle espérait que l'Égypte devienne un centre de fabrication de vaccins, tant pour un usage local que pour l'exportation vers les pays africains, la production devant commencer le mois prochain. Les experts préviennent que le déploiement de Covax en Afrique est au point mort. Selon le Centre africain de contrôle et de prévention des maladies (Africa CDC), seul 1 % de la population du continent a reçu une dose de vaccin, tandis que 0,37 % seulement a reçu les deux doses complètes. En comparaison, 20 % des Européens et 25 % des Américains ont reçu une première dose. Au 4 mai, moins de 8 % de la population mondiale avait reçu une dose de vaccin, quel qu'il soit, tandis que dix des pays les plus riches totalisaient 80 % de toutes les vaccinations, selon Notre monde en chiffres. Covax a expédié plus de 58 millions de doses à 122 pays qui comptent sur ce programme pour vacciner leurs populations, mais la situation en Inde fait que l'offre ne répond pas à la demande. De nombreux pays africains reçoivent leurs vaccins par l'intermédiaire de Covax, ce qui signifie que la situation en Inde a été ressentie avec acuité en Afrique. Lors d'un sommet d'urgence des ministres africains de la santé, le Dr Seth Berkley, PDG de Gavi, a déclaré que 150 millions de doses avaient pris du retard en raison des restrictions à l'exportation imposées par l'Inde, et que ce chiffre passerait à 190 millions le mois prochain. Covax dépendait d'AstraZeneca pour 90% de son approvisionnement et les restrictions à l'exportation imposées par l'Inde lui ont coupé l'accès. Les nouveaux accords conclus avec Novavax et Moderna ne devraient pas permettre de fournir des vaccins physiques avant juillet au plus tôt. Dans l'intervalle, Covax comptera sur les dons des pays riches qui ont acheté un excédent de vaccins au début de la pandémie. Par exemple, la Suède prévoit de donner un million de doses entièrement payées d'AstraZeneca en réponse à l'appel à l'aide de Covax pour combler le retard d'approvisionnement immédiat. Les pénuries dues aux restrictions imposées par l'Inde ont été ressenties de manière plus aiguë en Afrique, qui dépend fortement de Covax. \"La situation des vaccins est extrêmement complexe maintenant en raison de la situation en Inde\", a déclaré le Dr John Nkengasong, directeur du CDC Afrique, lors du sommet. \"Nous observons tous avec horreur et incrédulité ce qui se passe en Inde et nous ne nous attendons pas à ce que des vaccins soient expédiés hors d'Inde de sitôt.\" Vous pourriez aussi être intéressés par : En Inde, les cheveux des fidèles coupés dans les temples finissent pour la plupart en Europe, en Afrique et en Amérique."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46679946", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46674603", "doc1": "ইতালিতে অবৈধভাবে খৎনা করানো নিয়ে অনেকের উদ্বেগ রয়েছে। জানা গেছে, মৃত শিশুটির ভাইকেও একই সাথে খৎনা করানো হয়, তবে সে হাসপাতালে সেরে উঠছে। শিশু দু'টির নাম প্রকাশ করা হয় নি। ঘটনাটি ঘটেছে রোমের উত্তর-পশ্চিমে মন্টেরন্ডো উপশহরে। তাদের মা নাইজেরিয়ান, এবং তিনি নিজে একজন ক্যাথলিক খৃস্টান হলেও নাইজেরিয়ার প্রচলিত ইসলামী রীতি অনুযায়ী সন্তানদের খৎনা করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইতালির সংবাদ মাধ্যম বলছে, এ ব্যাপারে ৬৬ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। যে ডাক্তার ওই খৎনা করিয়েছিলেন, তিনি লিবিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বলে জানানো হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ এখন তার ডাক্তারি পড়াশোনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের মা নাইজেরিয়ান মহিলাটির নিজদেশে আরো পাঁচ সন্তান রয়েছে। একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্য���ন অনুযায়ী ইতালিতে প্রতি বছর পাঁচ হাজার খৎনা করানো হয় এবং তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি করানো হয় অবৈধভাবে। কিন্তু এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা খুব বিরল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর ইসির বৈঠক থেকে ওয়াকআউট ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের হিন্দু ভোটারদের ঘিরেই নাসিরনগরে যত সমীকরণ লম্বা চুলদাড়ি, নীল চোখ - এই কি যীশুর আসল চেহারা? ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এখন যা বলছেন অঞ্জনা \"এটা এমন এক শোকাবহ ঘটনা যা আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে\" - ফেসবুকে এক বার্তায় বলেছে আর্চি নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যাদের পরিচালিত অভিবাসী কেন্দ্রে ওই ঘটনাটি ঘটে। সারা ইউরোপ জুড়েই ছেলেদর খৎনা বৈধ, কিন্তু ইতালির সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে খৎনা করানোর ব্যবস্থা নেই। বেসরকারি ক্লিনিকে এটা করাতে গেলে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ কারণে দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক সময়ই অদক্ষ লোকদের দিয়ে এ কাজ করায় - যাতে ২০ থেকে ৫০ ইউরো খরচ হয়। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মিশেল রবার্টস বলছেন, খৎনা করানো একটি সরল ডাক্তারি প্রক্রিয়া তবে এতে যে কোন ঝুঁকি নেই তা নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এটা করানোর পরামর্শ দেন। তা ছাড়া এটা করালে কিছু ক্ষেত্রে যৌনমিলনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আইসল্যান্ডে কেন খৎনা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সিয়েরা লিওনের নারী 'হাজাম' মেমিনাতুর কথা ওয়েলসে মেয়েদের খৎনার ঘটনা ধরা পড়েছে ১২৩টি", "doc2": "Les procédures illégales en matière de circoncision sont un sujet de préoccupation en Italie Le frère jumeau du garçon a également subi l'intervention à Monterondo, dans la banlieue nord-ouest de Rome, et il se remet actuellement à l'hôpital. Un homme de 66 ans a été accusé de meurtre, selon les médias italiens. 5 000 circoncisions sont pratiquées en Italie chaque année, mais plus d'un tiers d'entre elles sont pratiquées illégalement, selon l'organisation caritative Amsi. L'Association culturelle à but non lucratif Arci a déclaré que les procédures s'étaient déroulées dans un centre de réfugiés qu'il gère avec le conseil local à Monterondo. \"C'est une tragédie qui nous laisse sans voix \", a déclaré M. Arci dans une déclaration sur Facebook, ajoutant qu'il engagerait des poursuites civiles une fois que les responsables de la mort de l'enfant auraient été identifiés par la police. Islande : un imam défend la circoncision Circoncision: procès de médecins Af. Sud : 3ème greffe réussie du pénis Les deux garçons, qui n'ont pas été nommés, sont nés en Italie en 2017 d'une mère nigériane qui a cinq autres enfants au Nigeria.Les médias locaux affirment que la mère avait demandé les opérations dans le respect des traditions islamiques du Nigeria, bien qu'elle soit elle-même catholique.Les titres médicaux du médecin seraient remis en question par la police.Ansa a indiqué que l'homme arrêté était un citoyen américain d'origine libyenne.\"C'est une tragédie absurde\", a déclaré Antonino Lupi, maire de Monterondo, dans une interview au Corriere Della Sera.La circoncision n'est actuellement pas disponible dans les établissements de santé publique en Italie."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50818612", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47520681", "doc1": "দুটি দুর্ঘটনার পর ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে। দুটো বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি অব্যাহত রেখেছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন জানিয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩০০'র বেশি যাত্রী নিহত হয়। বোয়িং আশা করেছিল যে চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমান আবারো উড্ডয়ন করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এটা পরিষ্কার করে বলেছিল যে এতো তাড়াতাড়ি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমানকে পুনরায় সনদ দেয়া হবে না। সিয়াটলে অবস্থিত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক। বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, \"ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে নিরাপদে আকাশে ফিরেয়ে আনার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।\" গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলা হয়েছিল যে ইথিওপিয়ায় প্রথম দুর্ঘটনার পর আরো একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল বিমানের ডিজাইনে যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এর মেয়াদকালে এক ডজনেরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে। কিন্তু তারপরেও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়নি। ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ রাখার কারণে এরই মধ্যে সংস্থাটি নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সোমবার বোয়িং-এর শেয়ারের দাম ৪% পর্যন্ত পড়ে গেছে। বোয়িং বলছে, তাদের কাছে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের ৪০০ উড়োজাহাজ জমা রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে দেবার বিষয়টিতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে। বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বোয়িং-এর কাছে অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ক্রেতাদের কাছে সেসব উড়োজাহাজ তুলে দেয়া হয়নি, কারণ বোয়িং-এর প্রকৌশলীরা ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজের সফটওয��্যার ঠিক করছেন। আরো পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড: নজর শুধু গার্মেন্টসে, বাকি সব উপেক্ষিত বিক্ষোভের জন্য মুসলিমদের প্রতি ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদির পিজ্জা খাবার পর ক্যালোরি কমাতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে? নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম", "doc2": "Aéroport de Chengdu en Chine. La décision a été prise, après le crash dimanche d'un 737 MAX 8 d'Ethiopian Airlines. Dans un communiqué, le Bureau chinois de l'aviation civile a précisé que ces mesures visent à consolider la sécurité de leur flotte aérienne. Leur utilisation pourra reprendre dès que les autorités américaines et les dirigeants de Boeing, éclairciront la situation. Le bureau chinois précise que la mesure de suspension entrera en vigueur ce lundi à 18H00 heure chinoise (10H00 GMT). En chine, les responsables, pour justifier leur décision, ont fait le parallèle entre les accidents de deux Boeing 737 MAX 8 livrés récemment et qui se sont tous deux produits pendant la phase de décollage. Les deux drames selon Pékin, soulèvent de nouvelles questions sur la fiabilité de cet appareil construit par une entreprise américaine."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50198112", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50375949", "doc1": "সূর্যমুখী বিপ্লব নামে পরিচিত একটি বিক্ষোভ এই ঐকমত তৈরির ধারণার জন্ম দিয়েছে। প্রতিদিনের ব্রেক্সিট জটিলতা, ক্যাপিটল হিল নিয়ে অন্তহীন কেলেঙ্কারি অথবা ফ্রান্সের ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন- আজকাল যেন অর্থবহ আপোষের জায়গাটি নাটকীয়ভাবে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। তার পরিবর্তে, এখন সময় হল ঘটনার গভীরে গিয়ে নিজের দাবির জন্য শুধু লড়ে যাওয়া। কোন আত্মসমর্পণ করা নয়। এটি আরও গভীর অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয় - যেমন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে যদি এতো মতবিরোধ থাকে তাহলে গণতন্ত্র আরও পঙ্গু হয়ে যায়। বিষয়গুলো এমনটা না হয়ে যদি অচলাবস্থা ভাঙতে এবং নির্বাচনী প্রতিনিধিদের আবার একত্রিত করতে নতুন কোন উপায় পাওয়া যেতো তাহলে কেমন হতো? ট্রাম্পকে ঘিরে কিংবা ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তার থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে একটি সমাধান পাওয়া যেতে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে, তাইওয়ান এসব জটিল বিষয়ে সহজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নতুন একটি উপায় তৈরি করেছে। সেখানে রাজনীতির সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে তারা। কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এতে অধিকাংশকে ঐকমত আনা গেছে যেখানে অন্য অনেক উপায় টিকতে পারেনি। এটি শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন তাইওয়ান একটি বাণিজ্য বিলকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে যায়। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে এই আইন হংকংয়ের মতো তাদের দেশকেও চীনের আরও কাছে নিয়ে যাবে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে প্রায় আড়াইশো শিক্ষার্থী তাইওয়ানের পার্লামেন্টে হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশ করে এবং সপ্ত���হব্যাপী পার্লামেন্ট দখল করে রাখে যা কিনা সানফ্লাওয়ার রেভল্যুশন বা সূর্যমুখী বিপ্লব হিসাবে পরিচিতি পায়। কারণ তারা সূর্যমুখী ফুলকে আশার প্রতীক হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। \"বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্টে প্রবেশের আগের রাতে আমি সেখানে ছিলাম,\" অড্রে তাং বলেন। তিনি তাইওয়ানের ক্রমবর্ধমান নাগরিক হ্যাকারদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য ছিলেন যারা এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিল। এবং বিক্ষোভের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার এক পর্যায়ে এই হ্যাকারদের সহায়তা চায়। কিছু হ্যাকারদের সরকারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং সে সময় তাং-কে তাইওয়ানের ডিজিটাল মন্ত্রী করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি নতুন প্রক্রিয়া ডিজাইন করা যাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একই ছাদের নীচে যোগ দিতে পারে এবং নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়াটির পক্ষে জনমত তৈরি করতে হয়েছিল যেন সরকার একে নতুন আইন ও বিধিবিধানে রূপান্তর করতে পারে। তাদের এই উদ্ভাবনের নাম ছিল ভি-তাইওয়ান - \"ভি\" অক্ষরটি দিয়ে ভার্চুয়াল বোঝানো হয়েছে-এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য আগ্রহী দলগুলো বিতর্কিত ইস্যুগুলো নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিতে পারে। এটি প্রথমে, ঘটনায় জড়িতদের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে। তারপরে ব্যবহারকারীরা পল.ইস নামে একটি বিশেষ সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। এই স্ক্রিনশটটি পল.ইস- এর মাধ্যমে চলমান উবারের আলোচনার প্রক্রিয়াটি দেখা যায়। এর মাধ্যমে তারা কোন বিষয় কীভাবে সমাধান করা উচিত সে সম্পর্কে বিবৃতি তৈরি করে এবং অন্যান্যদের বিভিন্ন পরামর্শের সঙ্গে একমত বা দ্বিমত পোষণ করে জবাব দেয়। এভাবে তারা একবার \"মোটামুটি ঐকমতে\" পৌঁছে গেলে, লাইভস্ট্রিম বা মুখোমুখি সভার আয়োজন করা হয় যাতে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট সুপারিশগুলি নিয়ে নিতে পারে। রাইড-হেইলিং রো প্ল্যাটফর্মটি প্রথমে উবারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করতো। রাইড পরিষেবাটি তাইওয়ানে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার কারণে প্রচলিত ট্যাক্সি শিল্প সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কারণ মার্কিন সংস্থাটি এই উবার চালকদের জন্য পেশাদার লাইসেন্স রাখা বা একই ধরণের বীমা রাখার কোন শর্ত আরোপ করেনি। ���্থানীয় সংস্থাগুলির মতো তাদের করও দিতে হত না। গ্রাহকরাও অবশ্য উবারের কারণে কম ভাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাগুলো উপভোগ করছিল। অচলাবস্থা ভাঙার জন্য, ভি-তাইওয়ান বিভিন্ন বিতর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে অনলাইনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। পল.ইস তাদের সবাইকে নিজেদের সংকীর্ণ জায়গা থেকে তুলে সামনে আনে। এটি মূলত সবার মতবিরোধের অনেকগুলো অক্ষের মধ্যে বিচরণ করে একটি মানচিত্র তৈরি করে। সেখানে দেখা যায় যে তাদের পুরো বিতর্ক জুড়ে কোন কোন বিষয়গুলো বেশি উঠে এসেছে। এভাবে বিভিন্ন মনোভাবের বিভিন্ন দলের উত্থান হয়। ভি-তাইওয়ান প্রক্রিয়াটি অংশগ্রহণকারীদের সাধারণ অবস্থানে আনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ট্যাক্সি চালক, উবার চালক, উবার যাত্রী এবং অন্যান্য যাত্রীরা মানচিত্রের চার কোণে নিজস্ব মতামতের এমন চারটি খুঁটি তৈরি করে। সেখানে কোন রিপ্লাই বা জবাবের বোতাম ছিল না, তাই তারা একে অপরের পোস্টগুলোকে ঘিরে ট্রল করতে পারেনি। এবং যে বার্তাগুলো তাদের চার ভাগে ভাগ করেছে সেসব বার্তা দেখানোর পরিবর্তে সেগুলোকে অদৃশ্যমান রাখা হয়। বরং যেগুলো মতামত অপর কোন দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বা কাছাকাছি যাচ্ছে সেগুলোকে সামনে আনা হয়। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নিজেদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা অক্সিজেনের মতো কাজ করে। এই প্রক্রিয়াটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কলিন মেগিল বলেছেন, \"তথ্যের কাঠামোটি পরিবর্তন করলে আপনি ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরতে পারবেন\"। প্রযুক্তিগতভাবে, এই ধাক্কা সাময়িক হলেও রাজনৈতিকভাবে এর প্রভাব ছিল অনেক। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডিং বা অপমানের বিস্তারকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে, এখানে ঐকমতের সন্ধান করা হয়। তাং বলেন, \"এর ফলে মানুষেরা তাদের মতামত খুব সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরার প্রতিযোগিতা করে যা বেশিরভাগের মন জয় করতে পারে।\" \"তারা খরগোশের গর্ত অনুসন্ধানের পরিবর্তে পারস্পরিক মিলগুলো আবিষ্কার করতে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে।\" মেজাজ ঠিক করা বিতর্ক অব্যাহত থাকা অবস্থাতেই এই মানুষগুলো যখন আরও বেশি বেশি তাদের মতামত দিচ্ছিল তখন পোল.ইসে দেখা যায় যে চারটি দল দুটি হয়ে গেছে। \"অবিচ্ছিন্নভাবে, তিন বা চার সপ্তাহের মধ্যে, আমরা এমন একটি আকার খুঁজে পাই যেখানে বেশিরভাগ সময় বেশিরভাগ লোকেরা বেশিরভাগ বিবৃতিতে একমত হয়।\" তাং বলেন, \" একমাস পরে, \"একমত হওয়া বিষয়গুলো\" উত্থিত হয়, যা সবার সমর্থন পায়। ভি-তাইওয়ান অন্যান্য বিরোধের মধ্যে অনলাইন অ্যালকোহল বিক্রয় সম্পর্কে মতবিরোধ নিষ্পত্তি করতে ব্যবহৃত হয়েছে। এভাবে একটি দল ৯৫% সমর্থন অর্জন করতে পারে। তারা বলে, \"ট্যাক্সি শিল্পের পরিচালনা ও মান উন্নত করার জন্য সরকারের এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত যাতে উবারের মতো ট্যাক্সিতেও চালক ও গ্রাহকরা একই মানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারে।\" এই বছরের জুলাইয়ে, ভি-তাইওয়ান, ই-যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত সভা পর্যন্ত পৌঁছায় এবং আয়োজকরা অংশগ্রহণকারীদের একটি সহযোগী মেজাজে রাখার চেষ্টা করেছিল। ঘরটিতে হালকা আলো জ্বলছিল, প্রত্যেকে একসাথে খাবার খেয়েছিল এবং টেবিলে কেবলমাত্র সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় যেগুলো ইতিমধ্যে পোল.ইস চিহ্নিত করেছে। এবং সেখানে শুধুমাত্র একমত হওয়া বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়। এটি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে শুধু ভোট দিতে বলেনা। এর কাজ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ভি-তাইওয়ান অংশগ্রহণকারীদের কেবল উত্তর নির্ধারণের জন্য নয়, বরং প্রশ্ন বের করতে এজেন্ডা-সেটিংয়ের ক্ষমতা দেয়। এবং এটি এক পক্ষের চাইতে আরেক পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি না কম সেটা বের করার দিকে লক্ষ্য রাখেনা। বরং তাদের মতের মিলগুলো খুঁজে বের করে। যখন মত পার্থক্যগুলো ঐকমতে রূপান্তরিত হয় সরকার এ নিয়ে কাজ করতে পারে। নতুন পাস হওয়া বিধান অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকদের উবারে যোগ দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবং নিয়মিত ট্যাক্সিগুলিকে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয় বিপ্লবের আইডি কে হ্যাক করলো তা এখনো অজানা উবারের পরে, এটি ১১টি আইন, বিধিবিধান এবং আরও আটটি বিল যেগুলো কিনা এখনও আইন হয়নি সেগুলোর এজেন্ডা ঠিক করার কাজে নামে। অনলাইনে অ্যালকোহল বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, প্রতিশোধমূলক পর্নোগ্রাফি বন্ধে নতুন আইন সবকিছুই তার মধ্যে রয়েছে। তবে এর সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ভি তাইওয়ান এখনও বাস্তব, জাতীয় ইস্যু নিয়ে কোন পরীক্ষা করেনি। এবং এটি সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়ায় হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে যে এতে ডিজিটালি কম পারদর্শী অথচ চিন্তাশীল গোষ্ঠী ��াদ পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের পরীক্ষা আমাদের সবার জন্য বড় ধরণের শিক্ষা হতে পারে। গণতন্ত্রকে কোনও বিশেষ আকারে জীবাশ্ম বা হিমায়িত করার প্রয়োজন নেই। যা বিকশিত হয় তা-ই সম্ভবত টিকে থাকতে পারে, এমনকি সমৃদ্ধ হতে পারে। এই পৃথিবীতে তারা যে চাপ ও চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয় সেগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।", "doc2": "Une manifestation connue sous le nom de révolution du tournesol a donné naissance à un réseau social de concertation. Qu'il s'agisse des confrontations quotidiennes du Brexit, des scandales interminables au Capitole ou des gilets jaunes de France, l'espace pour des compromis significatifs s'est considérablement réduit. Au lieu de cela, c'est le moment de creuser, de se battre, de garder le cap. Pas de capitulation. C'est le signe d'un malaise plus profond - à mesure que les électeurs se polarisent, les démocraties se paralysent de plus en plus. Et si ce n'était pas nécessaire ? Et si de nouveaux moyens pouvaient être trouvés pour sortir de l'impasse et rassembler les électeurs ? Lire aussi: À des milliers de kilomètres des controverses autour de Trump et de la sortie de l'UE, une solution a peut-être été trouvée. Au cours des cinq dernières années, Taïwan a mélangé la technologie et la politique pour créer une nouvelle façon de prendre des décisions. Et avec certaines limites, il a trouvé un consensus là où il n'en existait pas. Tout a commencé en 2014, lorsque Taïwan a été scindée en deux par un projet de loi sur le commerce. Comme à Hong Kong aujourd'hui, beaucoup craignaient que la loi ne rapproche leur pays de la Chine. Les manifestants sont entrés dans le parlement et ont commencé une occupation qui a duré des semaines et qui est depuis connue sous le nom de révolution du tournesol parce qu'ils ont utilisé la fleur pour représenter un symbole d'espoir. \"J'étais là la nuit avant qu'ils n'entrent\", m'a dit Audrey Tang. Elle a été l'un des principaux membres de la scène florissante de pirates informatiques qui se sont joints aux manifestations à Taiwan. Et à la suite de l'occupation, le gouvernement leur a demandé de l'aide. Environ 250 étudiants ont pris d'assaut le parlement taïwanais en mars 2014 avant d'être rejoints par des centaines d'autres. Certains des hackers civiques ont été invités à rejoindre le gouvernement et Tang est devenu le ministre du numérique de Taiwan. Leur objectif était de concevoir un nouveau processus auquel des personnes de toutes tendances politiques pourraient se joindre et exprimer leurs points de vue. Mais surtout, le processus devait déboucher sur un consensus que le gouvernement pourrait transformer en de nouvelles lois et de nouveaux règlements. Leur création a été appelée vTaiwan - le \"v\" signifiant virtuel - une plate-forme où les experts et autres parties intéressées peuvent délibérer sur des questions litigieuses. Il fonctionne en cherchant d'abord à obtenir des faits objectifs de la part des personnes impliquées. Ensuite, les utilisateurs communiquent entre eux par l'intermédiaire d'un réseau de médias sociaux spécialisé appelé Pol.is, qui leur permet de rédiger des énoncés sur la façon de résoudre un problème et de répondre aux suggestions des autres en étant d'accord ou non avec eux. Une fois qu'un \"consensus approximatif\" a été atteint, des réunions en direct ou en face à face sont organisées afin que les participants puissent rédiger des recommandations spécifiques. Polémique sur Uber Le premier test de la plate-forme a été de réguler Uber. Le service d'appel se développe rapidement à Taïwan, mettant en colère l'industrie traditionnelle du taxi, car la société américaine n'exige pas que ses chauffeurs soient titulaires d'une licence professionnelle ou du même type d'assurance, et ne paie pas les mêmes taxes que les sociétés locales. Les clients, cependant, ont bénéficié de tarifs moins chers et d'une commodité accrue. Pour sortir de l'impasse, vTaiwan a invité des groupes impliqués à rejoindre son espace en ligne. Pol.is a réussi à illustrer les contradictions. Il a parcouru les nombreux axes d'accords et de désaccords et a dessiné une carte pour montrer à chacun sa place exacte dans le débat. Cette capture d'écran montre le processus de délibération du différend Uber en cours sur Pol.is. Un certain nombre de groupes différents, avec des attitudes différentes, ont émergé. Les chauffeurs de taxi, les chauffeurs Uber, les passagers Uber et les autres passagers ont formé quatre pôles dans les coins de la carte. Il n'y avait pas de bouton de réponse, donc les gens ne pouvaient pas traîner dans les messages des autres. Et plutôt que de montrer les messages qui divisaient chacun des quatre groupes, Pol.is les rend simplement invisibles. Elle a plutôt donné de l'écho aux déclarations qui ont trouvé un appui parmi les différents groupes ainsi qu'en leur sein. \"Changer la structure de l'information, m'a dit Colin Megill, l'un de ses fondateurs, \"et vous pouvez modifier le pouvoir\". Techniquement, l'ajustement était petit, mais politiquement, son effet a été énorme. Plutôt que d'encourager la démagogie ou l'échange d'insultes, il s'agissait de trouver un consensus. Le processus vTaiwan est conçu pour aider les participants à trouver un terrain d'entente et à s'en servir comme base pour résoudre les désaccords. \"Les gens se disputent les déclarations les plus nuancées qui peuvent convaincre la plupart des gens\", m'a dit Tang. \"Ils passent beaucoup plus de temps à découvrir leurs points communs qu'à aller dans un désaccord sur un sujet particulier.\" Créer l'ambiance Le débat s'est poursuivi et au fur et à mesure que les gens ont rédigé des déclarations plus nuancées, Pol.is a montré que les quatre groupes étaient devenus deux. \"Invariablement, en trois ou quatre semaines\", m'a dit Tang, \"nous trouvons toujours une forme où la plupart des gens sont d'accord sur la plupart des déclarations, la plupart du temps.\" Au bout d'un mois, des \"points de consensus\" sont apparus, qui ont fait l'objet d'un soutien quasi unanime. L'un d'entre eux, appuyé à 95 % par l'ensemble des groupes, se lit comme suit : \"le gouvernement devrait profiter de cette occasion pour mettre l'industrie du taxi au défi d'améliorer ses systèmes de gestion et de contrôle de la qualité afin que les chauffeurs et les usagers puissent bénéficier du même service de qualité qu'avec Uber\". En juillet de cette année, j'ai vu vTaiwan en action sur une autre technologie perturbatrice - la réglementation des véhicules électroniques. Le processus avait atteint le stade final de la réunion et les organisateurs s'étaient efforcés de mettre les participants dans une atmosphère de coopération. La pièce était légèrement éclairée, tout le monde mangeait ensemble et les seuls problèmes sur la table étaient ceux que Pol.is avait déjà identifiés comme ceux avec lesquels la plupart des gens étaient d'accord. C'était complètement différent de leur demander simplement de voter via une application. vTaiwan a donné aux participants le pouvoir d'établir l'ordre du jour non seulement pour déterminer la réponse, mais aussi pour définir la question. Et il ne s'agissait pas de trouver une majorité d'un côté plutôt qu'un autre, mais de parvenir à un consensus entre eux. Au fur et à mesure que les divisions se transformaient en consensus, le gouvernement pouvait agir. Une nouvelle réglementation a été adoptée permettant à Uber d'opérer avec des conducteurs titulaires d'un permis de conduire, et aux taxis réguliers d'utiliser des applications. Et après Uber, il a été utilisé pour fixer l'ordre du jour de 11 textes législatifs et réglementaires, et huit autres attendent d'être soumis au vote, qu'il s'agisse de la réglementation de la vente d'alcool en ligne, de la réglementation des technologies de pointe ou des nouvelles lois sur la pornographie vengeresse. vTaiwan a été utilisé pour régler un désaccord sur la vente d'alcool en ligne, entre autres différends. Mais il peut y avoir des limites. vTaiwan n'a pas encore été testé sur une question de division réelle et nationale, et encore moins sur une question qui est déjà bien établie. Et l'on craint toujours qu'un processus en ligne n'exclue des groupes moins au fait du numérique. Toutefois, l'expérience de Taïwan peut nous servir une leçon extrêmement précieuse à tous. La démocratie n'a pas besoin d'être fossilisée ou gelée sous une forme particulière. Ceux qui évoluent peuvent être ceux qui survivent, voire s'épanouissent, dans un monde où les pressions et les défis auxquels ils sont confrontés changent sûrement tout aussi rapidement. Illustrations par Katie Horwich BBC Franchir les fossés Une série d'articles sur le rapprochement des gens dans un monde fragmenté."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46877839", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46879167", "doc1": "ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক চলছে টানা দুই বছর ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন নাকি এরকম রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি আর হয়নি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আজকের এই ভোটের গুরুত্বকে এভাবেই তুলে ধরছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভোটের ফলাফলের পরিণতি কী হতে পারে ব্র���টেনের জন্য? বিবিসির ল্যরা কুনসবার্গ কতগুলো সম্ভাব্য দৃশ্যপটের কথা বলছেন। ১. এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র এই পরিকল্পনা পার্লামেন্টে পাশ হওয়ার বিন্দুমাত্র আশা কেউ দেখছেন না। কিন্তু যদি অলৌকিক কিছু যদি ঘটে যায় এবং সিংহভাগ এমপি যদি প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান, তাহলে পরিকল্পনামত তিন মাসের মধ্যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। রাজনীতিতে টেরিজা মে আরো বেশ কিছুদিন টিকে যাবেন। ২. তবে ভোটে হেরে গেলে, প্রধানমন্ত্রী মহাসঙ্কটে পড়বেন। তবে সঙ্কটের মাত্রা নির্ভর করবে পক্ষে-বিপক্ষে কত ভোট পড়ে তার ওপর। নিজের দলের এমপি-মন্ত্রীরা ছাড়াও বিরোধী লেবার পার্টি কতটা চড়াও হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে ভোটের ব্যবধানের ওপর। নানা নানারকম দাবি-দাওয়ার চাপে জেরবার হতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। ৩. বড়মাপের হার হলে, টেরিজা মের সরকারের হাত থেকে সাংসদরা ব্রেক্সিট চুক্তির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নিতে পারে। কারণ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এই চু্ক্তির ব্যাপারে মারাত্মকভাবে বিভক্ত । এমপিরা সে পথে গেলে সরকারের সাথে সংসদের সম্পর্কে মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা তৈরি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মে'র রাজনৈতিক ভবিষ্যত চরম হুমকির মুখে ৪. সিংহভাগ সাংসদ চান ব্রেক্সিট হলেও ইউরোপের সাথে যেন ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক থাকে। এই মতবাদের পক্ষেই পাল্লা ভারি। ভোটে হারলে, ব্রিটেন হয়তো সেই পথেই যাবে। একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, \"যত দেরি হবে, ব্রেক্সিটের ধার ততই কমবে।\" ৫. যদি এমপিরা বাধা তৈরি না করে, তাহলে আজ রাতের ভোটে হারলে ব্রিটেন কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। ইউরোপ বিরোধী অনেক এমপিরা সেটিই চান এবং তারা কোনো ছাড় দিতে রাজী নন। অনেক মন্ত্রী আশা করছেন, চুক্তি-বিহীন ব্রেক্সিটের পথে এগুলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু ছাড় দিতে পারে। ৬. ভোটে হারলে বিরোধী লেবার পার্টি জেরেমি করবিন কী করবেন, ধারণা করা এখনও মুশকিল। তিনি কি হুমকি মতো নতুন নির্বাচনের আশায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন। নির্ভর করবে ভোটের ব্যবধানের ওপর। এছাড়া, নতুন আরেকটি গণভোট দাবির জন্য দলের ভেতর তিনি চাপে রয়েছেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন ৭. এমপিদের যে অংশটি নতুন আরেকটি গণভোট চান, তারা অপেক্ষা করছেন দেখতে যে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় কত বড় হয়। ব্যবধান বেশি হলে, হামলে পড়বেন তারা। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের জনগণ এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দেয়, তারপর গত আড়াই বছর ধরে বিতর্ক চলছে। অনিশ্চয়তা কাটেনি, আজ রাতের পরেও যে কাটবে সে সম্ভাবনা কম।", "doc2": "Brexit : Pourquoi est-il si difficile de s’entendre ? Mais que se passera-t-il si l'accord sur le Brexit est rejeté ? Après la défaite du 9 janvier, le gouvernement devrait désormais élaborer un plan alternatif pour le Brexit dans les trois jours ouvrables parlementaires, si l'accord est rejeté. La Cour de justice des Communautés européennes a déclaré qu'il serait légal que le Royaume-Uni annule unilatéralement l'article 50 et annule le Brexit (sans la nécessité d'un accord des 27 autres). 1. Pas d'accord Si rien d'autre ne se produit, la position par défaut serait un Brexit sans accord. La loi est déjà en vigueur, ce qui signifie que le Royaume-Uni quittera l'UE le 29 mars 2019. Et, dans tous les cas, les règles de l'UE prévoient que le Royaume-Uni quittera l'UE. 2. Renégociation majeure Si les députés votent contre l'accord, le gouvernement pourrait proposer de négocier un nouvel accord sur le Brexit. 3. Appel à une élection Theresa May pourrait décider que le meilleur moyen de sortir de l'impasse serait de tenir des élections générales anticipées afin d'obtenir un mandat politique pour maintenir l'accord. 4. Vote de défiance Si l'accord proposé est rejeté, les travaillistes ont déjà indiqué qu'ils demanderaient un vote formel de censure à l'égard du gouvernement. Mme May pourrait même demander un vote elle-même pour tenter de renforcer son autorité. 5. Un autre référendum Le gouvernement pourrait plutôt choisir d'organiser un autre référendum. Comme dans le cas d'une renégociation ou d'une élection anticipée, cela pourrait nécessiter une extension de l'article 50. Il est déjà trop tard pour organiser un référendum avant le 29 mars. Et cela ne peut pas arriver automatiquement. Les règles régissant les référendums sont définies dans une loi intitulée Loi de 2000 sur les partis politiques, les élections et les référendums. Un nouveau projet de loi serait nécessaire pour organiser un référendum et déterminer les règles, notamment en ce qui concerne les personnes autorisées à voter. 6. Autres conséquences Outre les différentes options concernant ce qui pourrait se passer avec le Brexit, de nombreux autres événements politiques pourraient également se produire. Theresa May pourrait décider de démissionner si elle ne parvient pas à faire passer son accord, ce qui aboutirait à la nomination d'un nouveau Premier ministre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53885716", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53078470", "doc1": "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্লাজমা থেরাপির চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রক্ত থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রেই এর মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। এর একদিন আগেই এফডিএ-র বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টিকার অবমুক্তি আর চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দেয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেছিলেন। হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় দফার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে আগে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আগের দিন এই ঘোষণা এলো। রবিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল��ড ট্রাম্প বলেন, ''অনেক দিন ধরে এটি আমি চাইছিলাম। চীনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত, এটি আমাদের অসংখ্য জীবন বাঁচাবে।'' একে একটি শক্তিশালী পদ্ধতি বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, প্রাথমিক গবেষণা দেখা যাচ্ছে যে, হাসপাতালে ভর্তির প্রথম তিনদিনের মধ্যে রক্তের প্লাজমা দিতে পারলে সেটি মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারছে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক কয়েক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি। যেকোনো ঝুঁকির তুলনায় এর উপকারিতা অনেক বেশি বলে তারা জানিয়েছে। ''দেখা যাচ্ছে এটা একটা নিরাপদ পদ্ধতি। আমাদের এ নিয়ে কোন আপত্তি নেই এবং নিরাপত্তার ইস্যুতে এখানে আমরা কোন ঝুঁকি দেখছি না,'' রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন এফডিএ-র জীববিজ্ঞান মূল্যায়ন এবং গবেষণা বিভাগের পরিচালক পিটার মার্কস। তবে হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউচির মতো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর রক্ত যেভাবে অন্যদের বাঁচাতে পারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্ত দিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? 'প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, 'প্রটোকল' কী বলছে 'কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি'র সাফল্য নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই কয়েকটি শর্ত মেনে করোনাভাইরাস রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। বিশেষ করে যারা গুরুতর অসুস্থ অথবা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে। এ বছরের শুরুর দিকে গিলেড সাইন্স কোম্পানিকে করোনাভাইরাস রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেসরা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউজ। ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ। তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বছরের শেষদিক ছাড়া এই টিকার কার্যকর ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রেই এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৩,৯৪১ জন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইারসের টিকা তৈরিতে কেন এই প্রতিযোগিতা হজমশক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় কী কী? বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায় যেভাবে থাকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের ছবিতে কারা, কেন খারাপ মন্তব্য করে?", "doc2": "US President Donald Trump said he had taken hydroxychloroquine for two weeks La FDA a déclaré que de nouvelles preuves issues d'essais cliniques signifiaient qu'il n'était plus raisonnable de croire que le médicament produirait un effet antiviral. Le président Donald Trump a ensuite défendu la promotion de l'utilisation de l'hydroxychloroquine comme traitement du Covid-19. En mars, la FDA a autorisé l'utilisation d'urgence du médicament pour certains cas graves. Mais lundi, l'agence a déclaré que des études cliniques avaient suggéré que l'hydroxychloroquine était inefficace pour traiter le virus mortel et n'avait pas réussi à prévenir l'infection chez les personnes qui y étaient exposées. En réponse à la décision de la FDA, M. Trump a déclaré qu'il avait auparavant pris le médicament à titre préventif, sans effets secondaires. \"Je l'ai pris et je me suis senti bien de le prendre\", a-t-il déclaré aux journalistes lundi, ajoutant : \"Je ne peux pas m'en plaindre, je l'ai pris pendant deux semaines, et je suis là, nous sommes là.\" Le président de 74 ans a déclaré que de nombreuses personnes lui avaient dit que cela leur avait sauvé la vie. En mai, M. Trump a révélé qu'il prenait ce médicament après que certaines personnes à la Maison Blanche aient été testées positives au coronavirus. Donald Trump Ses commentaires sur l'hydroxychloroquine ont fait l'objet de nombreuses spéculations en ligne et de controverses au sein de la communauté scientifique sur les avantages et les effets nocifs potentiels de ce médicament - ainsi que du médicament connexe, la chloroquine. Les essais dans le monde entier ont temporairement déraillé lorsqu'une étude publiée dans The Lancet a affirmé que le médicament augmentait le nombre de décès et de problèmes cardiaques chez certains patients. c Les résultats ont incité l'Organisation mondiale de la santé (OMS) et d'autres à interrompre les essais pour des raisons de sécurité. Toutefois, The Lancet s'est rétracté par la suite lorsqu'il a été constaté que l'étude présentait de graves lacunes et l'OMS a repris ses essais."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46873306", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50946982", "doc1": "যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয়নি'। জরিপে অংশ নেওয়া কিশোর ও তরুণদের এক তৃতীয়াংশের বেশি নারী এব�� এক চতুর্থাংশের বেশি পুরুষ মনে করেন যে তারা প্রথম যখন যৌন সঙ্গম করেন সেটি 'সঠিক সময়' ছিল না। আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে যৌনমিলনের সম্মতি প্রদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে অন্তত ১৬ বছর বয়সী হতে হয়। যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে ঐ বয়সে অনেকেই যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত থাকে না। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে' নামে পরিচিত এই জরিপটি প্রতি দশকেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকরা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জরিপে অংশ নেওয়া ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর দেয়া তথ্য ব্যবহার করেছেন এই জরিপে। জরিপের ফলাফল অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তর থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০% নারী এবং ২৬% পুরুষ মনে করেন যে তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয় নি'। এদের অধিকাংশই মনে করেন যে, কৌমার্য বা কুমারীত্ব পরিত্যাগ করার আগে তাদের আরো অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তবে স্বল্পসংখ্যক উত্তরদাতা প্রথম যৌন সঙ্গম আরো আগে সংঘটনের পক্ষ নেন। অধিকাংশই ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই প্রথমবার যৌনমিলনের স্বাদ নিয়েছেন - যাদের প্রায় অর্ধেক নিজেদের ষোড়শ বর্ষের শেষদিকে যৌন সঙ্গম করেছেন। এক তৃতীয়াংশের প্রথমবার ছিল তাদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগেই। ইচ্ছা ও প্রস্তুতি জরিপে যৌনমিলনের প্রস্তুতির বিষয়টিরও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় প্রথমবার যৌন সঙ্গম করার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে সম্মত হতে সক্ষম কিনা - তা যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, সম্মতি দেয়ার সময় কোনো ধরণের মাদকের প্রভাবে না থাকা বা সঙ্গী, বন্ধুবান্ধবদের চাপে পড়ে সম্মতি না দেয়ার মতো বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া নারীদের প্রায় অর্ধেক এবং পুরুষদের প্রায় ৪০% এই ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়। নারীদের প্রতি পাঁচজনে একজন এবং পুরুষদের পুরুষদের প্রতি ১০ জনে ৪ জনই মনে করেন প্রথম মিলনের সময় তাদের সঙ্গী সমান আগ্রহী ছিল না। অর্থাৎ তারা মনে করেন তাদের সঙ্গীরা অনেকটা চাপে পড়েই প্রথম মিলনে সম্মতি দিয়েছিলেন। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে'র প্রতিষ্ঠাতা কায়ে উইলিংস মনে করেন কোনো ব্যক্তি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা বয়সের মানদণ্ডে যাচাই করা উচিত নয়। \"প্রত্যেক তরুণই আলাদা - কেউ ১৫ বছর বয়সেও যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত হয়, আবার অনেক ১৮ বছর বয়সীও প্রস্তুত না থাকতে পারেন\", বলেন মি. উইলিংস। সহ-গবেষক মেলিসা পামার বলেন, \"আমাদের পাওয়া তর্থ বিশ্লেষণ যাচাই করে ধারণা করা যায় যে, প্রথম যৌনমিলনের সম্মতি দেয়ার ক্ষেত্রে উঠতি বয়সী তরুণদের চেয়ে তরুণীরা অপেক্ষাকৃত বেশি চাপের মধ্যে থাকে।\" তিনি বলেন তরুণ-তরুণীরা যেন প্রথম যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ও নিরাপদ যৌন সঙ্গমের নিশ্চয়তা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্কুলগুলোর যৌনতা বিষয়ক পাঠ্যসূচি সাজানো প্রয়োজন। কখন সঠিক সময়? আপনি যদি মনে করেন যে আপনার যৌন সঙ্গমের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে আগে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন। এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে হয়তো আপনি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নিচের কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি প্রস্তুত নাও হতে পারেন:", "doc2": "Le plus grand regret des jeunes qui perdent leur virginité, est d'avoir eu des rapports sexuels trop tôt, selon les recherches. Plus d'un tiers de femmes et un quart d'hommes, dans l'adolescence et au début de la vingtaine, ont admis que ce n'était pas \"le bon moment\" pour faire l'amour pour la première fois. Selon la loi au Royaume Uni, il faut avoir au moins 16 ans pour consentir légalement à avoir des relations sexuelles. Lire aussi : Le dernier sondage de l'Enquête nationale sur les attitudes et les modes de vie sexuels indique que de nombreuses personnes ne sont peut-être pas prêtes à cet âge. L'enquête Natsal, menée tous les dix ans environ, donne une image détaillée du comportement sexuel au Royaume-Uni. Pour ce dernier travail, publié dans BMJ Sexual & Reproductive Health, des chercheurs de la London School of Hygiene and Tropical Medicine ont examiné les réponses de près de 3 000 jeunes qui avaient répondu à l'enquête entre 2010 et 2012. En Angleterre, un hôpital aux allures futuristes où tout est robotisé. Les résultats Les réponses ont montré que près de 40 % des jeunes femmes et 26 % des jeunes hommes n'avaient pas le sentiment que leur première expérience sexuelle s'était produite \"au bon moment\". Interrogés plus en détail, la plupart ont déclaré qu'ils auraient souhaité avoir attendu plus longtemps pour perdre leur virginité. Peu ont dit qu'ils auraient dû le faire plus tôt. La plupart avaient eu des rapports sexuels à 18 ans - la moitié l'avaient fait avant d'avoir 17 ans. Près d'un tiers ont eu des rapports sexuels avant d'avoir 16 ans. Lire aussi : Le Kenya développe son système de santé Également disposé L'enquête s'est également penchée sur la compétence ou la préparation sexuelle - c'est-à-dire sur la question de savoir si une personne pouvait raisonnablement prendre une décision éclairée quant à la possibilité d'avoir des rapports sexuels pour la première fois. Par exemple, elle devait être suffisamment sobre pour avoir consenti et ne devait pas agir sous la pression de ses pairs. Environ la moitié des jeunes femmes et quatre sur dix des jeunes hommes qui ont répondu ont échoué à cette mesure. Et près d'une femme sur cinq et d'un homme sur dix ont déclaré qu'eux-mêmes et leur partenaire n'avaient pas été également disposés à avoir des rapports sexuels à ce moment-là, ce qui suggère que certains se sont sentis poussés à avoir des rapports sexuels. Lire aussi : Les bienfaits de la gentillesse sur votre santé La fondatrice de l'enquête Natsal, le professeur Kaye Wellings, a déclaré que l'âge du consentement n'était pas un indicateur de la possibilité qu'une personne soit prête à devenir sexuellement active. \"Chaque jeune est différent - certains de 15 ans peuvent être prêts alors que d'autres non,\" explique-t-elle. La co-chercheuse, le Dr Melissa Palmer, a déclaré : \"nos résultats semblent soutenir l'idée que les jeunes femmes sont plus susceptibles que les jeunes hommes d'être sous la pression de leurs partenaires pour avoir des relations sexuelles\". \"Bien que les résultats de l'enquête aient donné quelques résultats positifs, comme le fait que près de neuf jeunes sur dix utilisent une méthode de contraception fiable lors du premier rapport sexuel, des efforts supplémentaires sont nécessaires pour garantir que le bien-être général des jeunes est protégé lorsqu'ils deviennent sexuellement actifs,\" poursuit-elle. Selon elle, l'éducation sexuelle dans les écoles devrait doter les jeunes des compétences de négociation nécessaires pour leur permettre d'avoir des premières expériences sexuelles sûres et positives. Lire aussi : La technologie au service de la santé Quand est-ce que c'est le bon moment ? Si vous pensez que vous pourriez avoir des relations sexuelles, demandez-vous : Lire aussi : Le sucre, cet ennemi caché de notre santé Si vous répondez oui à toutes ces questions, le moment est peut-être venu. Mais si vous répondez oui à l'une des questions suivantes, il se peut que ce ne soit pas le cas : Source : Choix du Service National de Santé \"Nous croyons fermement que l'âge et le stade approprié pour les relations et l'éducation sexuelle (ESR) devraient commencer tôt afin de donner aux jeunes les moyens de prendre des décisions positives qui leur conviennent. Nous espérons que l'introduction de l'ESR obligatoire offrira cette possibilité\", a déclaré Isabel Inman de l'association caritative pour la santé sexuelle Brook."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45524825", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-46312976", "doc1": "ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির হার সন্তোষজনক নয় বলে বলছেন শ্রমিক সংগঠনগুলো এই কাঠামো কার্যকর হলে সব ধরণের সুযোগ সুবিধাসহ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ৮হাজার টাকা, যেখানে শ্রমিক সংগঠনগুলো দাবি করেছিল ১৬ হাজার টাকা। শ্রমিকদের সংগঠনগুলো তাই স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে অখুশী। বাংলাদেশের একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোশরেফা মিশু বলছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তুলনা করলে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট কম। মিজ. মিশু বলেন, \"মূদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার মানের মত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা সুপারিশ করেছিলাম মূল বেতন অন্তত ১০ হাজার টাকা করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এসব বিবেচনা করেই মজুরি ঠিক করা হয়। কিন্তু এবারে মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দিকটা বিবেচনা করা হয়নি।\" ন্যূনতম মজুরির অঙ্ক নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আরেকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা নাজমা আক্তারও। কিন্তু যদি এই প্রস্তাবিত কাঠামোই চূড়ান্ত রাখা হয় তাহলে শ্রমিকদের জীবনমান নিশ্চিত করতে সরকারের আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন মিজ. আকতার। তিনি জানান এর আগে যতবারই শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, প্রতিবারই তাদের অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে মালিকদের পক্ষ থেকে। মিজ. আক্তার বলেন, \"প্রতিবারই দেখা যায় মজুরি বাড়ানো হলে শ্রমিকদের ওপর বেশী পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করার লক্ষ্য চাপিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।\" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গার্মেন্���স শিল্পে ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা শ্রমিকরা চান ১২ হাজার, মালিকরা দিতে চান এর অর্ধেক পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ কি কমেছে? অর্থনীতিবিদরা বলছেন মজুরি বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকে থাকবে তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মতে মজুরি বৃদ্ধির হার আরো কম হওয়া উচিত ছিল। মি. রহমান বলেন - সরকার, শ্রমিক ও ক্রেতাসহ সব পক্ষ সহায়তা না করলে অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় অনেক কারখানা বন্ধও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। \"সরকার কারখানা মালিকদের আর্থিক সহায়তা না দিলে, ক্রেতারা বর্ধিত দামে পণ্য না কিনলে আর শ্রমিকরা উৎপাদনশীলতা না বাড়ালে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে\"- বলেন মি. রহমান। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য: মজুরি বৃদ্ধি কতটা বাস্তবসম্মত? গার্মেন্টস মালিকরা মজুরি বৃদ্ধির সমালোচনা করলেও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মত অর্থনীতিবিদরাও মনে করছেন ন্যূনতম মজুরি আরো বেশী বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প ও এই খাতের সাথে জড়িতদের জীবনযাত্রা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ, সিপিডি'র অর্থনীতিবিদদের পরিচালিত এক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে শ্রমিকদের মাসিক বেতন ১০ হাজারের বেশি করার সুপারিশ করা হয়। সিপিডি'র অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মজুরি বাড়ানোর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকে থাকবে। মি. মোয়াজ্জেম বলেন, \"মজুরি বাড়লেই প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নষ্ট হবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।\" মি. মোয়াজ্জেম জানান - তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের পোশাকখাতের কর্মীদের উৎপাদনশীলতা প্রতিবছর যে হারে বেড়েছে সে হারে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি। কাজেই মজুরি বাড়লে প্রবৃদ্ধিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পরবে না। এছাড়া মজুরি বাড়লে যে বাড়তি অর্থ শ্রমিকরা হাতে পায়, তা তাদের ও তাদের পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের পেছনেই ব্যয় হয়। মজুরি বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে দেশের শ্রমশক্তিকে তৈরি করে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা \"মজুরি বৃদ্ধি প্রকারান্তরে আসলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের শ্রমশক্তিকে তৈরি করে।\" শিল্পক্ষেত্রে বাংলাদেশে বহুমুখী পণ্যের বাজার তৈরি না হওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধ��ন কারণ নিয়মিত সুষ্ঠুভাবে মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মন্তব্য করেন গোলাম মোয়াজ্জেম। \"উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন উদ্ভাবন, নতুন পণ্য উৎপাদন করার বিষয়ে যে চাপ তৈরী হওয়ার কথা, নিয়মিত মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে সেই চাপ তৈরি হয় না\", বলেন মি. মোয়াজ্জেম। এর কারণে উদ্যোক্তারা পুরোনো পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত হয়ে যান এবং পণ্যের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। \"বাংলাদেশে শিল্পায়নে বহুমুখীকরণ না হওয়ার অন্যতম কারণ ন্যূনতম মজুরি কম হারে বৃদ্ধি পাওয়া।\" পূর্ববর্তী মজুরি কাঠামোর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে জানুয়ারি থেকে বর্তমান প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: শুধু আনন্দের জন্য যৌনমিলনের বিরোধী ছিলেন গান্ধী 'পদ্মার ভাঙন: পূর্বাভাস ছিল কিন্তু করা হয়নি কিছুই'", "doc2": "Le président du Zimbabwe Emmerson Mnangwa a décidé de baisser à hauteur de 5% les salaires des hauts fonctionnaires. L'annonce a été faite jeudi par le ministre des Finances lors de la présentation du premier budget de l'ère Emmerson Mnangwa. Outre cette mesure qui entrera en vigueur à compter de janvier 2019, d'autres décisions comme l'inscription biométrique des agents de fonction publique ont été annoncées afin d' identifier les fonctionnaires fictifs et réduire les dépenses publiques. Le projet de budget 2019, de 6,6 milliards de dollars, intitulé \"l'austérité nous conduira à la prospérité\", alloue également 53 millions de dollars de compensations aux fermiers blancs. Ils avaient été expulsés de leurs terres dans le cadre de la réforme agraire controversée de l'ex-président Robert Mugabe. Emmerson Mnangagwa, qui lui a succédé le 3 aout dernier dernier s'est engagé à relancer l'économie zimbabwéenne en proie à une grave crise. Depuis octobre, le pays a renoué avec les pénuries de produits alimentaires et l'inflation mensuelle a atteint 20%."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39036693", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51561504", "doc1": "বলা হয়ে থাকে, একুশের চেতনাই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে বলা হয়ে থাকে, একুশের চেতনাই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় এক সময় স্বাধীন একটি রাষ্ট্র 'বাংলাদেশ'এর জন্ম হয়েছে। কিন্তু যে ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন বহু মানুষ, আজ সেই ভাষা ব্যবহারের কী পরিস্থিতি দেশে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী বলছিলেন \"বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ মাতৃভাষায় কথা বলছে এটা ইতিবাচক দিক\"। \"কিন্তু ভাষা ব্যবহার নিয়ে আমার মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ আছে, কিছুটা বেদনার দিকও আছে। আমাদের আইন-আদালতে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো আমরা এখনও বাংলা ভাষাকে সার্বিক অর্থে প্রয়োগ করতে পারিনি, ব্যবহার করতে পারিনি। ভাষা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তবে উ���্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে\"-বলেন তিনি। কথ্য ভাষায় উচ্চারণ এবং বিকৃতি নিয়ে যে অভিযোগ শোনা যায়, সেটা কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে মি: চৌধুরী বলেন- \"প্রমিত ভাষার প্রয়োজনীয়তা বিশেষ পরিস্থিতিতে\"। \"আমার অঞ্চলের ভাষা কিন্তু মূল ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। প্রমিত ভাষা যেটি আমরা আনুষ্ঠানিকতায় ব্যবহার করছি, পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনে ব্যবহার করছি সেখানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে\"। আর এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কিভাবে পালিত হয় একুশে ফেব্রুয়ারি? বইমেলায় 'বিক্রির শীর্ষে এখনো হুমায়ুন আহমেদ' বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ভুলের ছড়াছড়ি কেন?", "doc2": "Mais dans nos vies de tous les jours, nos langues maternelles ont-elles vraiment de l'importance et à quel point nous sont-elles utiles? La question se pose d'autant plus qu'en Afrique, un continent où le français, l'anglais et l'arabe sont, très souvent, utilisés comme langues officielles ou langues des affaires. Sur le continent l'apprentissage des langues étrangères et cela, dès l'école maternelle, est à la mode depuis quelques années, dans plusieurs pays. Lire aussi: Chacun, son expérience ! Nous avons demandé de partager avec nous votre expérience. Est-ce que la maîtrise de votre langue maternelle vous a déjà sorti d'une situation compliquée ou vous a aidé ? Ou bien le manque de maitrise de votre langue maternelle, vous a-t-il bloqué dans certains aspects de votre vie ? Voici donc ce que plusieurs d'entre vous avez répondu. Parler ma langue maternelle, une aubaine ! Abdoul Sall: \"Ma langue maternelle pulaar me sert de levier dans l'exercice de mes fonctions d'enseignant. J'en fait recours ... pour mieux étayer mes propos dans des situations d'apprentissage de la langue française\". M'malabwe IshingyalaSéverin : \"J'aime beaucoup ma langue maternelle. Le Kimbembe m'a beaucoup servi quand j'étais arrivé en Tanzanie 2002 à kalalangabwe. Je ne savais pas où j'allais passer la nuit\" mais dès que \"j'avais crié mana'wa, les vieux qui étaient aux alentours sont venus me voir parce qu'ils ont entendu\" que nous parlions la même langue. Comlan Bernard Houelete: \"Ma langue maternelle m'a sauvé un jour. C'était un mardi, j'étais allé à une banque de la place pour retirer de l'argent. Au niveau du guichet, la caissière m'avait dit qu'elle ne pourra pas me servir à cause du problème de compte. Alors, j'avais parlé à mon frère dans ma langue maternelle (sahoué - Bénin). La caissière qui avait écouté, m'avait appelé en me demandant certaines choses dans ma langue maternelle. Après quelques minutes, elle m'avait envoyé chez le responsable de l'agence et j'avais été servi. \" Lire aussi: Cinéma : la passion \"Kannywood\" au Niger Pourquoi le français est en perte de vitesse en Algérie Je ne sais pas parler ma langue maternelle, et j'en souffre ! Ouattara Aboubacar : \"Un jour, lors d'une mission dans mon équipe, il y avait des anomalies dans les fiches, [des anomalies] que moi je ne voyais pas, alors celui qui parlait la même langue maternelle que moi voulait m'expliquer [ce qui n'allait pas] mais je n'ai pas pu décoder le message et en fin de compte, je me suis fait avoir\". \"Aujourd'hui mes enfants parlent ma langue maternelle, c'est une fierté pour moi\" Boaventura Mawete : \"Je ne maîtrise pas ma langue maternelle car nos parents ne nous l'ont pas appris, et aujourd'hui je souffre beaucoup... quand je me rends dans ma province particulièrement dans mon village, ça me semble difficile de pouvoir communiquer\". Ebenezer Mombili : \"J'ai la honte de ne pas connaître ma langue [maternelle]. Quand je vois mes amis en train de parler leurs langues, je les envie\". A regarder aussi : Le gouvernement mozambicain veut généraliser l'enseignement en langues locales. Toutes les langues se valent Le président de l'Académie sénégalaise des langues nationales, Pr Fary Silate Ka, ne fait pas de distinction entre un patois ou un dialecte et une langue. Oui, les langues africaines sont des langues à part entière, dit-il en répondant aux questions de Rose-Marie Bouboutou pour la BBC: \" Même les dialectes sont des langues. Une langue est une langue. Une langue est simplement un instrument de communication\" déclare-t-il, en ajoutant cependant \" toutes les langues se valent et elles sont d'égale dignité\". L'usage des mots d'autres langues dans les langues africaines est un couteau à double tranchant, selon Pr. Fary Silate Ka. \"Les emprunts conceptuels ou terminologiques, ça c'est naturel parce que les langues s'entre-empruntent des termes selon les contacts, selon les processus historiques et ça c'est valable pour toutes les langues du monde\". Mais il explique qu'une langue qui n'est pas écrite peut devenir un 'créole' si elle emprunte trop. La menace, selon lui, est en milieu urbain mais celui-ci est minoritaire. Lire aussi: Comment apprendre une nouvelle langue en une heure par jour Les langues africaines sont-elles menacées ? Dans le processus général de la communication internationale, certaines langues vont mourir nécessairement, fait savoir le président de l'Académie sénégalaise des langues nationales. \"Elles sont menacées parce qu'elles sont de moins en moins parlées et il y a de moins en moins ce que l'on appelle la transmission intergénérationnelle\". Mais les langues africaines ont actuellement le vent en poupe, note le Pr. Fary Silate Ka : \"On n'a jamais vu les langues africaines autant dans les classes, dans l'alphabétisation, dans l'éducation, dans le cyberespace... mais pas pour toutes les langues africaines. Les gens écrivent des livres, des manuels scolaires etc. et sont fiers, surtout ils n'ont plus le complexe de parler leur langue\" Lire aussi: Il y a combien de langues africaines ? L'estimation du nombre de langues africaines est très complexe. Les ethnologues de l'Unesco estiment qu'il y a quelques 6.000 langues dans le monde et le tiers en Afrique, soit 2000 langues. Mais le Pr. Fary Silate Ka note que les estimations de cette agence de l'Unesco sont \"légères parce que parfois on appelle langue des dialectes d'une même langue\". \"En réalité ce que l'on appelle langues africaines sont souvent des dialectes d'une même langue. Peut-être les 2.000 langues africaines seraient divisées par sept ou par dix ce qui nous amènerait à 200\", conclut-il. Regarder aussi : 9 personnes parlent encore le Yaaku"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40244032", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-38045819", "doc1": "ট্রাম্প পরিবার হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করছেন। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর মি: ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে থাকা শুরু করলেও ছেলের পড়ালেখার কথা ভেবে সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। কারণ নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারের কাছেই ছিল ব্যারনের স্কুল। তবে তখন মেলানিয়া বলেছিলেন সেমিস্টার শেষ হলে ছেলেসহ হোয়াইট হাউজে যাবেন তিনি। মেলানিয়ার এমন সিদ্ধান্ত তখন বেশ আলোড়ন তুলেছিল। অনেকের কাছে বিষয়টা অবাক করার মতোই ছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পই প্রথম ফার্স্টলেডি যিনি দ্রুত হোয়াইট হাউজে স্থানান্তর হননি। এমনকি সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা ওয়াশিংটনে দ্রুত চলে এসেছিলেন তাঁর মেয়েদের নতুন স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভেবে। তবে পাঁচ মাস পর হোয়াইট হাউজে এসে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া যে যথেষ্ট আনন্দিত সেটি টুইটারে তাঁর পোস্ট প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ঘর থেকে তোলা হোয়াইট হাউজের বাগানের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে মেলানিয়া ও তাঁর ছেলে ব্যারনের হোয়াইট হাউজে স্থানান্তরের কারণে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা খুশি হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ট্রাম্প টাওয়ারে ফার্স্টলেডি ও তাঁর ছেলের অবস্থানের কারণে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং তাদের এই উপস্থিতি ট্রাফিক সমস্যাও তৈরি করেছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পের টুইট", "doc2": "Melania Trump, 46 ans, et Barron, dix ans, resteraient vivre à la Trump Tower. Le porte-parole réagissait à un article du tabloïde New York Post affirmant que Melania Trump, 46 ans, et Barron, dix ans, resteraient vivre à la Trump Tower de Manhattan, de façon à ce que l'enfant continue à se rendre à son école privée de l'Upper West Side au moins jusqu'à la fin de l'année scolaire. Le couple Trump vit aujourd'hui à New York, dans un triplex au sommet de la tour éponyme de la Cinquième avenue à Manhattan. Donald Trump n'a pas dévoilé comment il entendait organiser sa vie entre New York et Washington à partir du 20 janvier, quand il assumera la fonction présidentielle. Les présidents américains vivent et travaillent depuis 1800 à la Maison Blanche, mais ils ont l'habitude de passer des vacances ou des week-ends ailleurs. Le président George W. Bush se rendait régulièrement dans son ranch de Crawford au Texas, par exemple."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47119309", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50946953", "doc1": "মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার জন্যে সারা বিশ্বেই চলছে প্রচারণা। নানা কারণেই তারা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন যার মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা, পরিবেশ রক্ষা আবার অনেকে পশুপাখির জীবনের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে প্রতি তিনজনের একজন অঙ্গীকার করছেন যে তারা মাংস খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়েছেন কিম্বা কমিয়ে দিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সংখ্যা প্রতি তিনজনে দু'জন। মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার জন্যে সম্প্রতি সারা বিশ্বে একটি প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক সোমবারকে বিবেচনা করা হচ্ছে মাংস-মুক্ত দিন হিসেবে। বলা হচ্ছে অন্তত এই দিনটিতে যেন লোকজন মাংস কিম্বা যেকোনো ধরনের প্রাণীজাত খাদ্য পরিহার করেন। সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও কম মাংস খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাস্তবে কি আসলেই এসবের কোন প্রভাব পড়ছে? আয় বাড়ছে আমরা জানি যে সারা বিশ্বে গত ৫০ বছর ধরে মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে যতো মাংস উৎপাদন করা হতো বর্তমানে তার তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি উৎপাদিত হচ্ছে। হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ষাটের দশকে সাত কোটি টন মাংস উৎপাদিত হতো কিন্তু ২০১৭ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি টন। এর জন্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এখন মানুষের সংখ্যা বহু বেড়েছে। তাদের খাওয়ার যোগান দিতে মাংসের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এই একই সময় ধরে বিশ্বের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে আমাদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিনশো কোটি কিন্তু এখন এই সংখ্যা সাড়ে সাতশো কোটিরও বেশি। কিন্তু এটাও ঠিক যে শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই মাংস খাওয়ার পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়েনি। এর পেছনে আরো একটি বড় কারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি। আরো পড়তে পারেন: মাংস খাওয়া বাদ দিয়ে পৃথিবী বাঁচাতে চান? সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনা জরুরি সবজি বা মাংস: ভারতীয়দের কাছে কোনটি প্রিয়? সারা বিশ্বেই মানুষ আগের তুলনায় ধনী হয়েছে। গত অর্ধ শতাব্দীতে গড় আয় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। আমরা যদি তুলনা করে দেখি যে কোথায় কতো মাংস খাওয়া হচ্ছে তাহলে দেখবো যেসব দেশ যতো বেশি ধনী সেসব দেশে ততো বেশি মাংস খাওয়া হচ্ছে। এখন যে শুধু জনসংখ্যাই বেড়েছে তা নয়, একই সাথে বেড়েছে মাংস কিনতে পারা মানুষের সংখ্যাও। কে সবচেয়ে বেশি মাংস খায় সারা বিশ্বে এই প্রবণতা খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখি যে ধন সম্পদের সাথে এর একটা সরাসরি সম্পর্ক আছে। ২০১৩ সালের হিসেবই পাওয়া যায় সবশেষ। তাতে দেখা যাচ্ছে এক বছরে কোন দেশে কতো মাংস খাওয়া হয় সেই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। তারপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। এই দুটো দেশে একজন ব্যক্তি বছরে ১০০ কেজির বেশি মাংস খায়, যা প্রায় ৫০টি মুরগি কিম্বা একটি গরুর অর্ধেকের সমান। অবশ্য মাংস খাওয়ার এই উচ্চ হার চোখে পড়বে পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে একজন মানুষ বছরে ৮০ থেকে ৯০ কেজি মাংস খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র পাওয়া যাবে গরিব দেশগুলোতে। সেসব দেশের লোকজনের মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। আরো পড়তে পারেন: 'ভেগান' বা 'নিরামিষাশী': দরকারি পাঁচটি তথ্য 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে পৃথিবী বাঁচাবেন যেভাবে ইথিওপিয়ায় একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় সাত কেজি, রোয়ান্ডায় আট কেজি এবং নাইজেরিয়াতে ৯ কেজির মতো মাংস খেয়ে থাকেন। ইউরোপের একজন নাগরিক গড়ে যতো মাংস খান এসব দেশের মানুষের মাংস খাওয়ার পরিমাণ তার দশগুণ কম। নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলোতেই মাংস এখনও একটি বিলাসবহুল খাদ্য। উপরে যেসব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হিসেব করা হয়েছে শুধু কতোটুকু মাংস খাওয়া হচ্ছে সেটা বিবেচনা করে। কিন্তু বাড়িতে বা দোকানপাটে যেসব মাংস ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেটা এসব হিসেবে ধরা হয়নি। মধ্য আয়ের দেশগুলোতে মাংসের চাহিদা বাড়ছে এটা একেবারেই পরিষ্কার যে ধনী দেশগুলোতে প্রচুর মাংস খাওয়া হয় আর দরিদ্র দেশগুলোতে খাওয়া হয় কম। গত ৫০ বছর ধরে এই প্রবণতাই চলে আসছে। কিন্তু কথা হলো আমরা সবাই মিলে এখন এতো বেশি মাংস খাচ্ছি কেন? এরকম হওয়ার পেছনে একটা কারণ হচ্ছে- বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বড় রকমের চাহিদা তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দশকে চীন ও ব্রাজিলে বড় রকমের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে এবং এর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাংস খাওয়ার পরিমাণও। ১৯৬০ এর দশকের পর কেনিয়াতে মাংস খাওয়ার পরিমাণে খুব সামান্যই পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু চীনে এই পরিবর্তনটা ব্যাপক। ষাটের দশকে একজন চীনা বছরে পাঁচ কেজিরও কম মাংস খেতেন কিন্তু আশির দশকে সেটা বেড়ে দাঁড়ালো ২০ কেজি। আরো অবাক হওয়ার মতো যে গত কয়েক দশকে এটা তিনগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ৬০ কেজি। একই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলেও। এই দেশটিতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ ১৯৯০ এর দশকের পর প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ছাড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোকেও। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ভারত। সেখানে ১৯৯০ এর পর গড় আয় প্রায় তিনগুণ হয়েছে কিন্তু মাংস খাওয়ার পরিমাণ সেভাবে বাড়েনি। মানুষের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে বেশিরভাগ ভারতীয় নিরামিষাশী। কিন্তু সারা ভারতে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ কিছু না কিছু মাংস খায়। তারপরেও দেশটিতে মাংস খাওয়ার হার উল্লেখযোগ্য রকমের কম। একজন ভারতীয় বছরে গড়ে চার কেজি মাংস খান। সারা বিশ্বের মধ্যে তারাই সবচেয়ে কম মাংস খান। এর পেছনে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণ থাকতে পারে। অনেক ধর্মেই মাংস খেতে বারণ করা হয়েছে। যেমন হিন্দুরা গরুর মাংস বর্জন করেন। পশ্চিমে কি মাংস খাওয়া কমছে? ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় অনেকেই বলছেন যে তারা মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলেই কি সেরকম কিছু হচ্ছে? পরিসংখ্যান কিন্তু সেরকম কিছু বলছে না। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে দেশটিতে বরং মাথাপিছু মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। আমরা হয়তো ভাবতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রে মাংসের জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে দেশটিতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমের বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেও এই একই চিত্র। পশ্চিমা দেশগুলোতে মাংস খাওয়ার হার যখন থিতু অবস্থানে রয়েছে, অথবা সামান্য বেড়েছে, তখন মাংসের ধরনে কিছু পরিবর্তন এসেছে। তার অর্থ হচ্ছে- লোকজন এখন রেড মিট অর্থাৎ গরু বা শূকরের মাংস খাওয়া কমিয়ে হাঁস মুরগির মাংসের দিকে ঝুঁকছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে যতো মাংস খাওয়া হয় তার অর্ধেক হাঁস মুরগির মাংস। কিন্তু সত্তরের দশকে এটা ছিল এক চতুর্থাংশ। তবে এই পরিবর্তনকে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে ইতিবাচক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। মাংস খেলে কী হয় কোন কোন ক্ষেত্রে মাংস খাওয়া ভালো। পরিমাণ মতো মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে, বিশেষ করে অল্প আয়ের দেশগুলোতে। তবে বেশিরভাগ দেশেই এমন পরিমাণে মাংস খাওয়া হয় যা লাভের বদলে ক্ষতিই করে থাকে। স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে এই মাংস। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিছু কিছু ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। রেড মিটের বদলে হাঁস মুরগির মাংস খাওয়া ইতিবাচক প্রবণতা। মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যেও এটা একটা সুখবর। কিন্তু তারপরেও ভবিষ্যতে মানুষের মাংস খাওয়ার অভ্যাসে আরো বড়ো ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরী বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। তার মানে শুধু মাংসের ধরনে পরিবর্তন আনলেই হবে না, বরং আমরা কতোটুকু মাংস খাচ্ছি সেদিকেও নজর দিতে হবে। বস্তুত, মাংসকে আবারও বিলাসী খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করার সময় এসেছে। গবেষণাগারে তৈরি মাংস খেতে চান?", "doc2": "Cela fait souvent partie d'une tentative pour devenir plus sain, réduire leur impact sur l'environnement ou prendre en compte le bien-être des animaux. Un tiers des Britanniques affirment avoir soit cessé de manger de la viande, soit réduit leur consommation, tandis que deux tiers des Américains disent qu'ils mangent moins de viande. Lire aussi : Cette tendance est en partie due à des initiatives telles que Meat-free Mondays et Veganuary. En même temps, un certain nombre de documentaires et de défenseurs très en vue du véganisme ont souligné les avantages potentiels de la consommation de moins de viande. Mais ces sentiments ont-ils eu un effet sur le terrain ? Des revenus en hausse Ce que nous savons, c'est que la consommation mondiale de viande a augmenté rapidement au cours des 50 dernières années. La production de viande est aujourd'hui près de cinq fois plus élevée qu'au début des années 1960 - de 70 millions de tonnes à plus de 330 tonnes en 2017. Une grande raison à cela est qu'il y a beaucoup plus de personnes à nourrir. Au cours de cette période, la population mondiale a plus que doublé. Lire aussi : Au début des années 1960, nous étions environ trois milliards, et aujourd'hui nous sommes plus de 7,6 milliards. Bien que la démographie puisse faire partie des raisons, elle n'explique pas entièrement pourquoi la production de viande a quintuplé. Un autre facteur clé est l'augmentation des revenus. Dans le monde entier, les gens se sont enrichis, le revenu moyen mondial ayant plus que triplé en un demi-siècle. Lorsque nous comparons la consommation dans différents pays, nous constatons que, généralement, plus nous sommes riches, plus nous mangeons de viande. Il n'y a pas seulement plus de gens dans le monde - il y a plus de gens qui peuvent se permettre de manger de la viande. Lire aussi : Qui mange le plus de viande ? Nous voyons un lien évident avec la richesse lorsque nous examinons les modèles de consommation de viande dans le monde. En 2013, l'année la plus récente pour laquelle nous disposons de données, les États-Unis et l'Australie étaient en tête du tableau de la consommation annuelle de viande. Lire aussi : Aux côtés de la Nouvelle-Zélande et de l'Argentine, ces deux pays ont consommé plus de 100 kg par personne, soit l'équivalent d'environ 50 poulets ou d'une demi-vache chacun. En fait, on constate des niveaux élevés de consommation de viande dans tout l'Occident, la plupart des pays d'Europe occidentale consommant entre 80 et 90 kilogrammes de viande par personne. A l'autre extrémité du spectre, beaucoup de pays parmi les plus pauvres du monde mangent très peu de viande. L'Éthiopien moyen ne consomme que 7 kg, les Rwandais 8 kg et les Nigérians 9 kg. C'est 10 fois moins que l'Européen moyen. Pour les habitants des pays à faible revenu, la viande reste un luxe. Ces chiffres représentent la quantité de viande par tête disponible pour la consommation, mais ne tiennent pas compte de la nourriture gaspillée à la maison ou dans les magasins. En réalité, les gens mangent un peu moins de viande que cela, mais c'est quand même une estimation proche. Les pays à revenu intermédiaire en tête de la demande en viande Beaucoup de gens dans l'Occident disent qu'ils essaient de réduire leur consommation en viande, mais la réalité est tout autre. Il est clair que les pays les plus riches mangent beaucoup de viande, et que les personnes à faible revenu en mangent peu. C'est le cas depuis 50 ans ou plus. Alors pourquoi mangeons-nous collectivement beaucoup plus de viande ? Cette tendance est largement due à un groupe croissant de pays à revenu moyen. Des pays à croissance rapide comme la Chine et le Brésil ont connu une croissance économique importante au cours des dernières décennies et une forte augmentation de la consommation de viande. Au Kenya, la consommation de viande a peu changé depuis 1960. En revanche, en Chine dans les années 1960, on consommait moins de 5 kg par an. A la fin des années 1980, cette consommation était passée à 20 kg, et au cours des dernières décennies, elle a plus que triplé pour atteindre plus de 60 kg. L'impact de la viande sur l'environnement La même chose s'est produite au Brésil, où la consommation de viande a presque doublé depuis 1990, dépassant ainsi presque tous les pays occidentaux. L'Inde est une exception notable. Alors que les revenus moyens ont triplé depuis 1990, la consommation de viande n'a pas suivi. Il est faux de croire que la majorité des Indiens sont végétariens - deux tiers des Indiens mangent au moins un peu de viande, selon une enquête nationale. Néanmoins, la quantité de viande consommée en Inde est restée faible. Avec moins de 4 kg par personne, elle est la plus faible du monde. Cela est probablement dû en partie à des facteurs culturels pour certains en Inde, notamment le fait de ne pas manger certains types de viande pour des raisons religieuses. Lire aussi : La consommation de viande est-elle en baisse dans l'Occident ? Beaucoup en Europe et en Amérique du Nord disent qu'ils essaient de réduire leur consommation de viande, mais est-ce que cela fonctionne ? Pas vraiment, d'après les statistiques. Des données récentes du Département américain de l'agriculture (USDA) suggèrent que la consommation de viande par tête a en fait augmenté au cours des dernières années. Bien que nous puissions penser que la viande devient moins populaire, la consommation américaine en 2018 était proche de son plus haut niveau depuis des décennies. Le tableau est similaire pour la consommation de viande dans l'UE. Alors que la consommation occidentale de viande est stable, ou en légère augmentation, les types de viande consommés changent. Cela signifie moins de viande rouge - bœuf et porc - et plus de volaille. Aux États-Unis, la volaille représente maintenant la moitié de la consommation de viande, contre un quart dans les années 1970. Ces types de substitution pourraient être une bonne nouvelle pour la santé et l'environnement. L'impact de la viande La production de viande est aujourd'hui près de cinq fois plus élevée qu'au début des années 1960 Dans certaines circonstances, la consommation de viande peut être bénéfique. Des quantités modérées de viande et de produits laitiers peuvent améliorer la santé des gens, en particulier dans les pays à faible revenu où les régimes alimentaires peuvent manquer de variété. Mais dans de nombreux pays, la consommation de viande va bien au-delà des bienfaits nutritionnels de base. En fait, elle peut constituer un risque pour la santé. Des études ont établi un lien entre une consommation excessive de viande rouge et de viande transformée et un risque accru de maladies cardiaques, d'accidents vasculaires cérébraux et de certains types de cancer. Lire aussi : Remplacer le bœuf ou le bacon par du poulet pourrait être une mesure positive. Ce remplacement est également meilleur pour l'environnement, car les vaches, en particulier, sont des convertisseurs inefficaces d'aliments pour animaux en viande. Comparativement au poulet, le bœuf a de trois à dix fois plus d'impact sur l'utilisation des terres, de l'eau et des émissions de gaz à effet de serre que le poulet. Le porc se situe quelque part entre les deux. Un avenir où la consommation de viande est durable et équilibrée entre les pays nécessiterait des changements majeurs. Cela signifierait non seulement un changement dans les types de viande que nous mangeons, mais aussi dans les quantités consommées. En fait, la viande devrait redevenir un luxe. Lire aussi : A propos de cet article Cette analyse a été commandée par la BBC à un expert travaillant pour une organisation extérieure. Hannah Ritchie est une boursière d'Oxford Martin et travaille actuellement comme chercheuse à OurWorldinData.org. Il s'agit d'un projet conjoint entre Oxford Martin et l'organisation à but non lucratif Global Change Data Lab, qui vise à présenter des recherches sur la façon dont le monde change par le biais de visualisations interactives. Publié sous la direction d'Eleanor Lawrie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53470498", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53479904", "doc1": "প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে, এই টিকার ইনজেকশন তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেতকণিকা তৈরি করে, যা শরীরের ভেতর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। একে একটি বড় রকমের সম্ভাবনাপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে কি-না, তা বলার সময় এখনও আসেনি। এ নিয়ে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে। যুক্তরাজ্য এর মধ্যেই ১০ কোটি টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টিকা কীভাবে কাজ করে? ChAdOx1 nCoV-19 নামের এই টিকাটি তৈরি করতে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে, এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করে এই টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে। এটাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটা মানব শরীরে সংক্রমণ তৈরি না করে। এটাকে করোনাভাইরাসের কাছাকাছি একটা সাদৃশ্যও দেয়া হয়েছে। যে টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে, তার ভেতরে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের জিনগত বৈশিষ্ট্য ঢুকিয়ে (যে অংশটি আমাদের কোষকে আক্রমণ করে) দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মানে হলো, টিকাটি করোনাভাইরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তখন শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুঝতে পারে যে, কীভাবে করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে পরাস্ত করা যাবে। গবেষণাগারে কাজ করছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল কী? করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে বেশিরভাগ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে অ্যান্টিবডির দিকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি অংশ মাত্র। অ্যান্টিবডি হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার তৈরি করা ছোট আকারের প্রোটিন, যা ভাইরাসের সঙ্গে সেটে গিয়ে সেটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসকে অকার্যকর করে দিতে পারে। টি-সেল, রক্তের সাদা একটি অংশ আক্রান্ত কোষগুলোকে খুঁজে বের করতে আর ধ্বংস করতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। প্রায় সব কার্যকর টিকা অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে কাজ করে। টিকা দেয়ার ১৪ দিন পরে টি-সেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় আর অ্যান্টিবডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ২৮দিনের মধ্যে। তবে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাপারটি কেমন হতে পারে, সেটি এখনো যাচাই করে দেখতে পারেননি গবেষকরা। এটা কি নিরাপদ? এটা নিরাপদ, তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। যদিও সেগুলো খুব বিপদজনক কিছু নয়। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, টিকা নেয়ার পর তাদের জ্বর অথবা মাথাব্যথা হয়েছিল। গবেষকরা বলছেন, প্যারাসিটামল খেয়ে এটা সামলানো যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, '' কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় আমাদের টিকা কাজ করবে, সেটা বলার আগে আমাদের আরও অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া ফলাফল বেশ আশা যোগাচ্ছে।'' অনেক দেশ বা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে পরীক্ষার পরবর্তী ধাপে কি হবে? এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল যদিও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক, কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য হলো সব মানুষকে দেয়ার জন্য নিরাপদ কিনা, সেটা নিশ্চিত করা। গবেষণায় এটা জানা যায়নি যে, এটা মানুষজনকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে নাকি তাদের কোভিড-১৯ উপসর্গ কমিয়ে দেবে। পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় যুক্তরাজ্য জুড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেবে। তবে এই পরীক্ষাটি অন্যান্য দেশেও করা হবে। যেহেতু যুক্তরাজ্যে করো���াভাইরাস রোগীর সংক্রমণের হার এখন কম, তাই টিকাটি কতটা কার্যকর তা সেখানে বের করা কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চলবে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই হাজার আর ব্রাজিলে পাঁচ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে।", "doc2": "Une femme se fait vacciner. Des essais impliquant 1 077 personnes ont montré que l'injection a conduit à la fabrication d'anticorps et de lymphocytes T capables de combattre le coronavirus. Les résultats sont très prometteurs, mais il est encore trop tôt pour savoir si cela suffit à offrir une protection et des essais de plus grande envergure sont en cours. Le Royaume-Uni a déjà commandé 100 millions de doses du vaccin. Lire aussi : Comment le vaccin fonctionne-t-il ? Le vaccin - appelé ChAdOx1 nCoV-19 - a été développé à une vitesse sans précédent. Il est fabriqué à partir d'un virus génétiquement modifié qui provoque le rhume chez les chimpanzés.Il a été fortement modifié, d'une part pour qu'il ne puisse pas provoquer d'infections chez l'homme et, d'autre part, pour qu'il \"ressemble\" davantage à un coronavirus. Pour ce faire, les scientifiques ont transféré les instructions génétiques de la \"protéine de pointe\" du coronavirus - l'outil crucial qu'il utilise pour envahir nos cellules - au vaccin qu'ils étaient en train de développer. Cela signifie que le vaccin ressemble au coronavirus et que le système immunitaire peut apprendre à l'attaquer. Que sont les anticorps et les lymphocytes T ? Jusqu'à présent, l'accent a été mis sur les anticorps, mais ceux-ci ne constituent qu'une partie de notre défense immunitaire.Les anticorps sont de petites protéines fabriquées par le système immunitaire qui se fixent à la surface des virus. Lire aussi : Les anticorps neutralisants peuvent désactiver le coronavirus. Les lymphocytes T, un type de globules blancs, aident à coordonner le système immunitaire et sont capables de repérer les cellules du corps qui ont été infectées et de les détruire.Presque tous les vaccins efficaces induisent à la fois une réponse des anticorps et des lymphocytes T. Des échantillons de patients sont analysés dans le cadre de l'essai. Les niveaux de lymphocytes T ont atteint un pic 14 jours après la vaccination et les niveaux d'anticorps ont atteint un pic après 28 jours. L'étude n'a pas duré assez longtemps pour comprendre combien de temps ils peuvent survivre, selon le Lancet. Le professeur Andrew Pollard, du groupe de recherche d'Oxford, a déclaré à la BBC : \"Nous sommes très satisfaits des résultats publiés aujourd'hui, car nous constatons à la fois des anticorps neutralisants et des lymphocytes T. \"Cela est extrêmement prometteurs et nous pensons que c'est le type de réponse qui peut être associé à la protection. Mais la question clé que tout le monde veut savoir est de savoir si le vaccin fonctionne, s'il offre une protection... et nous devons encore attendre pour en être sûrs.\" L'étude a montré que 90 % des gens développaient des anticorps neutralisants après une dose de vaccin. Seules dix personnes ont reçu deux doses et toutes ont produit des anticorps neutralisants. \"Nous ne connaissons pas le niveau de protection nécessaire, mais nous pouvons maximiser les réponses avec une seconde dose\", a déclaré le professeur Pollard à la BBC. A regarder : Coronavirus : quand pouvons-nous espérer un vaccin contre l'infection ? Est-ce sûr ? Oui, mais il y a des effets secondaires. La prise du vaccin n'a eu aucun effet secondaire dangereux, mais 70 % des personnes participant à l'essai ont eu de la fièvre ou des maux de tête. Les chercheurs disent que cela pourrait être géré avec du paracétamol. Le professeur Sarah Gilbert, de l'université d'Oxford, au Royaume-Uni, déclare : \"Il reste beaucoup de travail à faire avant de pouvoir confirmer si notre vaccin aidera à gérer la pandémie de Covid-19, mais ces premiers résultats sont prometteurs\". Quelles sont les prochaines étapes pour les essais ? Les résultats obtenus jusqu'à présent sont prometteurs, mais leur principal objectif est de garantir que le vaccin est suffisamment sûr pour être administré aux gens. L'étude ne peut pas montrer si le vaccin peut empêcher les gens de tomber malades ou même atténuer les symptômes de Covid-19. Plus de 10 000 personnes participeront à la prochaine étape des essais au Royaume-Uni. Cependant, l'essai a également été étendu à d'autres pays car les niveaux de coronavirus sont faibles au Royaume-Uni, ce qui rend difficile le fait de savoir si le vaccin est efficace. Un vaste essai sera réalisé sur 30 000 personnes aux États-Unis, 2 000 en Afrique du Sud et 5 000 au Brésil. Des appels ont également été lancés en faveur de la réalisation d'\"études d'infection expérimentales\" dans lesquels les personnes vaccinées sont délibérément infectées par le coronavirus. Cependant, le manque de traitements suscite des préoccupations d'ordre éthique. A regarder : Coronavirus : comment fonctionne un vaccin ? Quand vais-je recevoir un vaccin ? Il est possible qu'un vaccin contre les coronavirus s'avère efficace avant la fin de l'année, mais il ne sera pas largement disponible. Les travailleurs de santé seront prioritaires, de même que les personnes considérées à haut risque de contracter le Covid-19 en raison de leur âge ou de leur état de santé. Toutefois, la vaccination à grande échelle aura probablement lieu, au plus tôt, l'année prochaine, si tout se passe comme prévu. Boris Johnson a déclaré : \"Je suis évidemment plein d'espoir, je croise les doigts, mais dire que je suis sûr à 100% que nous aurons un vaccin cette année, voire l'année prochaine, n'est hélas qu'une exagération. Nous n'en sommes pas encore là.\" Quels sont les progrès réalisés avec les autres vaccins ? Le vaccin développé par Oxford n'est pas le premier à atteindre ce stade, des groupes aux États-Unis et en Chine ayant également publié des résultats similaires. La société américaine Moderna a été la première et son vaccin peut produire des anticorps neutralisants. Ils injectent de l'ARN de coronavirus (son code génétique), qui commence alors à fabriquer des protéines virales afin de déclencher une réponse immunitaire. Les sociétés BioNtech et Pfizer ont également obtenu des résultats positifs grâce à leur vaccin à ARN. Une technique similaire à celle d'Oxford, développée en Chine, semble également prometteuse. Cependant, toutes ces approches se situent à la frontière absolue de la science et leur efficacité n'a jamais été prouvée auparavant. Des méthodes plus traditionnelles de développement de vaccins sont également à l'étude. La société Valneva prend le coronavirus entier, l'inactive et l'injecte ensuite. Au total, 23 vaccins contre le coronavirus sont en cours d'essais cliniques dans le monde entier et 140 autres sont en phase de développement précoce. A regarder : Conseils coronavirus : Existe-t-il un vaccin pour le COVID-19 ? Le Royaume-Uni aura-t-il un vaccin contre le coronavirus ? Le gouvernement britannique a conclu des accords portant sur 190 millions de doses de différents vaccins. Cela comprend : Ils ont été payés, même si l'on ne sait pas exactement lequel de ces vaccins, le cas échéant, pourrait s'avérer efficace pour immuniser une nation de 66 millions d'habitants. Kate Bingham, présidente du groupe de travail britannique sur les vaccins, a déclaré à la BBC : \"Ce que nous faisons, c'est identifier les vaccins les plus prometteurs parmi les différentes catégories ou les différents types de vaccins, afin de nous assurer que nous disposons bien d'un vaccin au cas où l'un d'entre eux s'avérerait à la fois sûr et efficace\". \"Il est peu probable qu'il y ait un seul vaccin pour tout le monde. Nous pourrions bien avoir besoin de différents vaccins pour différents groupes de personnes\", a-t-elle ajouté."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44123076", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56846204", "doc1": "রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম মুসলিমরা বিশ্বাস করেন- স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ আর বেশি সময় ধরে প্রার্থনার ভেতর দিয়ে মুসলমানরা এ মাসে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন। আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়, কিন্তু এটি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান যেগুলো নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। নীচে রোজা নিয়ে সেরকম ছটি খুব সাধারণ ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো। ব্রিটেনে অ্যাডভান্সড (অগ্রসর) ইসলামি বিজ্ঞান এবং শারিয়া আইনের ছাত্র শাব্বির হাসান তার ধর্মীয় জ্ঞান প্রয়োগ করে এগুলোর বিশ্লেষণ করেছেন: মিসওয়াক ব্যবহার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অনুমোদন করে 'দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়' অনেক মানুষ মনে করেন পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। কিন্তু ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গে না। শাব্বির হাসান বলেন, অনেক মানুষ অতি সাবধানী। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি,- \"সবচেয়ে ভালো পরামর্শ অল্প পরিমাণ পেস্ট নিন। মিন্টের গন্ধ কম এরকম পেস্ট ব্যবহার করুন।\" ভয় পেলে, গাছের সরু ডাল থেকে তৈরি মিসওয়াক বা দাঁতন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: একমাস রোজা রাখলে যা ঘটে আপনার শরীরে রোজা রেখে চুমু নিষিদ্ধ, অর্থাৎ অন্যের লালা মুখে ঢোকানো যাবেনা 'মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না' শাব্বির হাসান বলছেন, মুখের লালা পেটে ঢুকলে কোনো অসুবিধা নাই। \"মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না- এই বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই, নিজের লালা গলাধঃকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, এতে অবশ্যই রোজা ভাঙ্গে না।\" তিনি বলেন, বরঞ্চ ইসলামে রোজার সময় মুখের লালা খাওয়া উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে, তিনি বলেন, অন্যের মুখের লালা নিজের মুখে ঢুকলে রোজা থাকবে না। \"রোজা পালনের সময় আপনি আপনার সঙ্গীকে চুম খেতে পারবেন না, অন্তরঙ্গ হওয়া যাবেনা। মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনার আকাঙ্ক্ষাকে সংযত করা। সে কারণেই খাবার, পানীয় বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে।\" দুর্নাম, গুজব রটালে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে 'শুধু খাবার অথবা পানি না খেলেই রোজা কবুল হয়ে যাবে' শুধুমাত্র খাবার মুখে দিলে বা পানি পান করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে তাই নয়। আরো কিছু আচরণে রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মি: হাসান বলছেন, \"কিছু অপরাধ জিহ্বা দিয়ে হয়...আপনি যদি দুর্নাম রটান, গুজবে অংশ নেন বা কাউকে গালিগালাজ করেন, তাহলে রোজা কবুল নাও হতে পারে।\" ভুল করে খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না 'অসাবধানতা-বশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়' আপনি যদি সত্যিই একদম ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তাহলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে, যদিনা আপনি বোঝার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু নামাজের আগে ওজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ এই ভুল এড়ানো সম্ভব। মি: হাসান বলেন, \"এ কারণে রোজা রেখে অজু করার সময় গারগল না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি শুধু কুলি করে পানি ফেলে দিন।\" অসুস্থ থাকলে রোজা রাখা আবশ্যিক নয় 'ওষুধ খাওয়া যাবে না' মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সমিতির সাথে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে- রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন, চোখের ড্রপ। এমসিবি বলেছে, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ বা ইনজেকশনে রোজা ভাঙবে না। তবে যেসব ওষুধ মুখে দিয়ে খেতে হয়, সেগুলো নিষিদ্ধ । সেহেরির আগে এবং ইফতারির পর তা খেতে হবে। মি: হাসান বলেন, \"প্রথম কথা আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে ভাবেতে হবে আপনি রোজা আদৌ রাখবেন কিনা?\" \"কোরানে পরিস্কার বলা আছে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন।\" অসুস্থ, অন্ত:স্বত্বা, দুর্বল, ভ্রমণকারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয় 'যে কোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে' ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে। এমসিবি বলছে - শিশু, অসুস্থ (শারীরিক এবং মানসিক), দুর্বল, ভ্রমণকারী, অন্তঃসত্ত্বা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়। \"যদি স্বল্প সময়ের জন্য কেউ অসুস্থ হন, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর অন্য সময়ে তিনি ভাঙ্গা রোজাগুলো পূরণ করে দিতে পারেন, \" মি হাসান বলেন। \"যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুস্থতা থাকে এবং রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে রোজার মাসের প্রতিদিন ফিদা অর্থাৎ গরীবকে কিছু দান করুন।\" ব্রিটেনে এই ফিদার পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়েছে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ পাউন্ড।", "doc2": "Une photo du Coran Malgré les avantages du jeûne pour la santé, certaines personnes peuvent avoir du mal à faire face au changement de leurs habitudes alimentaires pendant ce mois, ou à une sorte de fatigue et d'épuisement dus à l'interruption de la prise de nourriture et de boisson pendant des périodes relativement longues, et pour certaines personnes cela peut être associées à des problèmes de santé tels que ceux rencontrés par les personnes souffrant d'hyperglycémie ou de tension artérielle. Voici quelques conseils importants fournis par les nutritionnistes afin de jeûner plus sainement. A ne pas manquer : BBC Arabic s'est entretenu avec un certain nombre de personnes pour faire la lumière sur leurs expériences personnelles qui peuvent être utiles à de nombreuses personnes pour planifier comment passer leur mois de Ramadan ; avec des experts en nutrition pour mettre en évidence les méthodes les plus efficaces et les techniques qui devraient être suivies pour améliorer la santé, ainsi que pour souligner le rôle du son sexe d'une personne dans sa capacité à gérer la faim ou à être plus patient. Variété d'aliments à la table du petit-déjeuner Ce qui doit et ne doit pas être consommé dans le repas de l'aube ? Le jeûneur commence son premier jour par le repas d'avant l'aube, et ce qu'il mange à ce moment-là déterminera dans quelle mesure il se sent ou non fatigué, assoiffé ou affamé pendant son jeûne. Et le pharmacien nutritionniste syrien Fadi Abbas recommande aux gens de suivre les conseils suivants qui, selon lui, garantiront un jeûne plus facile, moins de déshydratation du corps et un plus grand bénéfice pour la santé : Abbas a déclaré à la BBC : \"Vous devez vous concentrer dans le suhoor sur les aliments qui contiennent environ 70% d'eau, et prendre le repas en trois étapes avec un écart de cinq minutes entre l'une et l'autre, et commencer par une assiette de salade (surtout concombre, laitue et céleri) et un seul type d'aliment. À condition qu'il ne contienne pas un pourcentage élevé de sels, comme c'est le cas de matières telles que le fromage et les noix, qui, malgré leurs riches bienfaits, feront que le corps aura besoin de plus d'eau après quelques heures\". L'expert en nutrition Fadi Abbas recommande de privilégier, pour le repas d'avant l'aube, les aliments qui contiennent environ 70 % d'eau. Il ajoute : \"Les sucres viennent dans un deuxième temps, et il est préférable de manger deux fruits riches en eau également (comme les fraises, la pastèque et les oranges) ou une tasse de jus frais, puis de terminer le repas en buvant de l'eau.\" Et le National Health Service britannique conseille d'éviter de boire du thé et du café car ils sont diurétiques du fait qu'ils contiennent de la caféine (surtout pour ceux qui souffrent du problème de l'incontinence urinaire). La perte de liquide dans le corps entraîne la nécessité de le remplacer, et la déshydratation, ce qui crée des problèmes de santé tels que des maux de tête, une pression artérielle basse, des problèmes rénaux, et autres. Alors, comment éviter ces problèmes et qu'en est-il de la sensation de fatigue ou de léthargie après le petit-déjeuner ? Les tables du Ramadan - indépendamment du niveau financier de chaque famille - sont caractérisées par la multiplicité des plats servis chaque jour en raison de l'habitude des parents et des voisins d'échanger leurs plats entre eux pendant le mois de jeûne, et donc tout le monde profite d'une variété de plats sur leurs tables chaque jour, ainsi, une personne mange plus qu'elle ne devrait et plus que son besoin. Il ne ressent les dégâts que peu de temps après avoir terminé son petit-déjeuner. Lire aussi : Cela commence par des problèmes comme des maux d'estomac, la sensation de satiété, la léthargie, l'envie de dormir, etc. Cependant, pour certaines personnes, le problème peut devenir plus grave lorsqu'il provoque de l'hypertension ou du sucre. Les premiers jours de jeûne sont les plus difficiles de tous, car \"le besoin du corps en graisse comme source d'énergie commence après quatre jours\" de jeûne, selon Fadi Abbas. Selon Abbas, le petit-déjeuner doit être pris en trois phases, avec un écart de six minutes entre l'une et l'autre, comme c'est le cas pour le suhoor. La raison, dit-il, est que le cerveau a besoin de 18 minutes pour recevoir le signal de satiété. Il ajoute : \"Dans un premier temps, il est recommandé de boire un verre d'eau en trois fois et en position assise. Après six minutes, on commence à manger des sucres pour fournir à l'organisme l'énergie qu'il a perdue pendant la période de jeûne, à condition qu'ils ne soient pas transformés mais plutôt naturels, comme des dattes ou du jus de fruits frais Il est recommandé de manger un ou deux aliments qui contiennent des protéines et des glucides. Et il ajoute : \"Après avoir attendu encore 6 minutes, il est recommandé de commencer par une assiette de salade finement coupée afin de ne pas fatiguer l'estomac. Les fibres contenues dans les légumes sont très nécessaires pour apporter des vitamines à l'organisme et aussi pour éviter la constipation.\" Et il poursuit : \"Après l'assiette de salade, il faut manger au maximum un ou deux types d'aliments qui contiennent des protéines et des glucides.\" A écouter : \"Pendant le jeune il faut bien s'hydrater le matin\" Par exemple, les pommes de terre, le riz, les pâtes, le pain et les pâtes contiennent tous des glucides, donc \"il est nécessaire de fournir un seul type de ce qui précède, ainsi qu'un seul type de protéines (comme les légumineuses, les œufs, la viande maigre et les produits laitiers), en tenant compte de la durée du processus de mastication qui prend de 30 secondes pour les aliments mous à 60 secondes pour les aliments durs (comme la viande et les noix). \" Malgré le grand besoin d'eau du corps, en boire une grande quantité en une seule fois et de la mauvaise manière peut affecter le travail de l'intestin et des reins. Par conséquent, \"Vous devez suivre une méthode saine, et ne pas boire plus de deux tasses d'eau d'un coup avant l'heure qui suit le petit-déjeuner Vous ne devez pas attendre d'avoir soif, mais vous devez en boire toutes les heures ou toutes les heures et demie, même si cela vous oblige à programmer une alarme qui vous rappelle quand boire de l'eau\", selon les conseils d'Abbas. Une famille musulmane jordanienne réunie autour d'une table pour l'Iftar du Ramadan. Les femmes sont-elles plus tolérantes à la faim et plus patientes que les hommes ? Tout le monde ne sait pas réfléchir et planifier à l'avance pour ce mois, car certains souffrent beaucoup, en raison d'un changement soudain des habitudes alimentaires et sociales, de sorte qu'ils sont confrontés à de grandes perturbations qui affectent leurs contacts sociaux avec leur entourage ou la qualité de leur travail, comme c'est le cas des deux frères Saeed et Othman Youssef, qui travaillent dans le secteur de la construction dans la ville d'Alep. Saeed raconte : \"Bien que je sache très bien que je dois être patient et large d'esprit en ce mois sacré, je deviens un homme nerveux et irritable à midi, et je ne contrôle pas mon comportement et crie au visage des ouvriers, et je le regrette rapidement et m'excuse auprès d'eux. Mais la situation se répète souvent chez moi. \" Lire aussi : Son frère Othman raconte : \"Je peux supporter la faim les premiers jours, mais après une semaine, j'ai très soif et cela me donne des maux de tête, je deviens donc une personne insupportable, mais je ne peux pas contrôler ma nervosité.\" Et un tel problème ne se limite pas seulement à Saeed et Othman, mais il peut aussi toucher de nombreux hommes. Il est donc conseillé de suivre les conseils des nutritionnistes à cet égard, car ce que vous mangez a un grand rôle dans votre comportement Mohamed Fayed est un expert marocain en sciences alimentaires et en nutrition. À cet égard, Mohamed Fayed, expert en sciences de l'alimentation et en nutrition au Maroc, déclare : \"Les femmes en général sont mieux à même de tolérer le jeûne que les hommes, car la proportion de graisse dans le corps d'une femme est plus élevée que dans celui d'un homme, et la masse musculaire des hommes est supérieure à celle des femmes.\" . Selon Faeed, il y a des raisons scientifiques derrière cela, qui résident dans le fait qu'il y a des hormones qui sont actives chez les femmes ; plus que chez les hommes, certains hommes plus actifs. A regarder : Mon Ramadan...au Kenya \"L'œstrogène aide les femmes à supporter la faim et à rester d'humeur calme le plus longtemps possible, ce qui les aide à défier les émotions et les sentiments d'anxiété, tandis que chez les hommes la testostérone stimule les sentiments d'excitation, d'anxiété et de tension.\" Faid ajoute : \"Le corps d'une femme a besoin de moins de nourriture que celui d'un homme en général, et manger de la viande, de la volaille et du fromage en abondance stimule la production d'hormones qui affectent l'état nerveux de la personne, car l'œstrogène interfère avec le cholestérol, donc trop de viande conduit à un taux élevé de cholestérol et donc à l'excitation et l'état nerveux de la personne. Les œstrogènes aident les femmes à faire face à la faim et à rester d'humeur calme le plus longtemps possible. Femmes actives Dans les pays orientaux, les hommes ont tendance à bouger plus que les femmes en général, en raison de la nature de leur travail ou de leurs responsabilités à l'extérieur de la maison, et cela signifie qu'ils peuvent perdre plus d'énergie et de calories que les femmes. Cependant, la situation est différente pour la femme qui travaille, qui a de grandes responsabilités en matière de garde d'enfants, de ménage et dans son emploi. Dans ce cas, la situation est similaire à celle de l'homme, d'après ce que dit Fayed. A regarder : Coronavirus - ramadan : au Sénégal, solidarité en temps de crise Il pense que le type d'aliments qu'une personne mange affecte son humeur. Les personnes qui mangent beaucoup de viande ont tendance à être plus irritables et tendues que les végétariens. Il pense que si une femme mange la même quantité de viande et de fromage qu'un homme, elle souffrira des mêmes états d'irritation et de nervosité que les hommes. Sport ... Quel est le meilleur moment pour le pratiquer ? La prière de Tarawih n'est pas suffisant pour débarrasser le corps des calories supplémentaires comme certains le pensent, il est donc impératif de pratiquer certains types d'exercices qui augmenteront le rythme cardiaque comme le conseille la nutritionniste Londonniene, Ayson Kvang. Kvang dit : \"L'estomac doit être complètement reposé du processus de digestion avant de commencer tout type de sport, c'est-à-dire qu'il faut commencer à le faire après au moins trois heures après le petit-déjeuner...\". L'experte en nutrition Aison Kvang recommande de faire de l'exercice au moins 3 heures après le petit-déjeuner. Et elle ajoute : \"Il est préférable de ne pas fatiguer le corps dans les premiers jours et de faire des exercices sportifs légers comme marcher ou porter quelques poids à la maison ou monter des escaliers plusieurs fois, puis d'augmenter la période chaque jour jusqu'à ce qu'elle atteigne un degré acceptable selon la capacité et la santé de chaque personne.\" Lire aussi : Kvang explique l'importance de l'eau et son grand rôle dans le maintien de la santé, en particulier pendant le Ramadan, et recommande vivement de boire les quantités recommandées, chacun en fonction de son âge, tout en évitant les boissons gazeuses et artificiellement sucrées et en les remplaçant par des tisanes telles que la camomille, le thé vert et d'autres plantes qui sont disponibles en abondance dans le monde entier. Une mère qui supervise l'éducation de ses enfants. Planifier son emploi du temps pendant le jeûne Angham, une femme au foyer avec deux enfants, qui vit à Riyad, en Arabie saoudite, estime que sa planification préalable du mois de Ramadan fait de ce mois un mois d'amélioration de la santé, de développement des compétences et de satisfaction de soi. Lire aussi : Elle a déclaré à la BBC : \"Je commence le jeûne intermittent une semaine avant le Ramadan, car je prépare mon corps à supporter la faim et je m'épargne le changement soudain de ma routine quotidienne pendant le Ramadan.\" Elle ajoute : \"Chaque année, je me fixe un objectif que je cherche à atteindre, et cette année, j'ai prévu de lire le Coran deux fois pendant ce mois et mes enfants devraient mémoriser quelques versets coraniques en plus de m'occuper de mes enfants et de ma préoccupation pour les devoirs, et ainsi le temps passe sans que je m'en rende compte...\". Nadia, une jeune femme de 25 ans qui vit à Aqaba, en Jordanie, déclare : \"Je lutte contre la faim et la soif en lisant, donc je passe mon temps à lire tous les livres et romans mis de côté, à regarder quelques émissions de télévision et à développer mes compétences en anglais, ainsi je n'ai pas de temps libre qui me pousse à penser à la soif ou à la faim\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48276302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48493536", "doc1": "মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মি: পম্পেও এ মন্তব্য করেন। রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি 'স্বাভাবিক দেশের' মতো আচরণ করে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার স্বার্থ আক্রান্ত হলে তারা সমুচিত জবাব দেবে। ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ হবেনা। গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায়না। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়াকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ সেটি নাকচ করে দিয়েছে। মি: ল্যাভরভ বলেন, যেভাবে নিকোলাস মাদুরোকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটি 'অগণতান্ত্রিক'। আরো পড়ুন: ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ইরান কী বলেছে? এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লাহ খামেনির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন সেটির বদলে ভিন্ন কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে কোন আপোষ করবে না ইরান। মি: খামেনি বলেন, \"আমরা যুদ্ধ চাইনা, তারাও যুদ্ধ চায়না।\" সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্�� হাসান রুহানি দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে মি: রুহানি বলেন, ইরানকে কেউ ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে। গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক 'অন্তর্ঘাতী আক্রমণের' ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ ডলার 'ঘুষ' দিলো শিশু", "doc2": "Mike Pompeo déclare que les USA sont prêts à discuter avec l'Iran En visite en Suisse en fin de semaine dernière, Mike Pompeo a révélé que Washington est prêt à des pourparlers avec Téhéran sur la crise diplomatique entre leur deux pays. \"Nous sommes prêts à engager une discussion sans conditions préalables, à nous asseoir autour d'une table avec eux\" a déclaré le chef de la diplomatie américaine. Le Pentagone met la pression sur l'Iran ‘Le dernier esclave des Etats-Unis’ venait du Bénin Il a toutefois relativisé, laissant entendre que Washington n'entend pas alléger sa campagne de \"pression maximale\" sur Téhéran. Pompeo ajoute que son gouvernement procède à ses propres évaluations indépendantes du programme nucléaire iranien. Les américains veulent s'assurer que ce programme n'atteindra jamais le stade où Téhéran pourra construire une arme nucléaire. Le porte-parole de la diplomatie iranienne, Abass Moussavi, lui, a fait savoir qu'un changement de comportement général des Etats-Unis sera le critère pour une éventuelle reprise des négociations avec son pays. Le président iranien Hassan Rouhani avait auparavant fait savoir que l'Iran ne négociera avec les USA que dans le respect et non sur menace."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49754170", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48339669", "doc1": "ব্ল্যাক মাম্বার দু-ফোটা বিষেই একজন মানুষ মারা যেতে পারে। এ হিসাবে, প্রতি বছর বিশ্বে ৫৪ লাখ মানুষ বিষাক্ত সাপের কামড় খায়। বিষক্রিয়ায় মারা যায় ১ লক্ষ ৩৮,০০০ জন। বিশ্বের যে কোনো বিষধর সাপের বিষকে অকার্যকর করে দেবে এমন এক অব্যর্থ ওষুধ তৈরির গবেষণায় নিজেকের উৎসর্গ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সাবেক একজন ট্রাক-চালক টিম ফ্রেডি। দু'শরও বেশিবার তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বেচ্ছায় বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েছেন। কমপক্ষে ৭০০ বার সাপের বিষ শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়েছেন। সাপের বিষের প্রক্রিয়ার ভিডিও করে সেই ফুটেজ তিনি ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন। আজ (শনিবার) আন্তর্জাতিক সাপের কামড় বিষয়ক সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন টিম ফ্রেডি। তাৎক্ষণিক যন্ত্রণা ইউটিউব ভিডিওতে টিম ফ্রেডি দেখাচ্ছেন সাপের কামড়ের প্রভাব কেমন হয় ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিষধর একটি মাম্বার পরপর দুটো কামড় খেয়েই টিম ফ্রেডি ক্যামেরায় তার অভিজ্ঞতার কথা বলছেন। সে সময় তার হাত দিয়ে দরদর করে রক্ত ঝরছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, \"ব্ল্যাক মাম্বা কামড়ালে সাথে সাথেই প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আপনার মনে হবে এক হাজার মৌমাছি যেন আপনাকে একসাথে কামড়েছে।\" \"একটি মৌমাছির হুলে বিষের পরিমাণ থাকে সাধারণত এক থেকে দুই মিলিগ্রাম। কিন্তু একটি মাম্বা কামড়ালে শরীররে ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম বিষ ঢুতে যেতে পারে।\" \"কামড়ের পরপরই জায়গা ফুলে যায়। কতটা বিষ ঢুকেছে ফোলার মাত্রা দেখে দেখে আমি বুঝতে পারি। খুবই যন্ত্রণা হয়।\" ভয়ঙ্কর এবং অনৈতিক কিন্তু তার ইউটিউব ফ্যানরা যতটা উচ্ছ্বসিত, সবাই ততটা নয়। টিম ফ্রেডি বলেন, তার শরীর এখন সাপের বিষ প্রতিরোধী লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ড স্টুয়ার্ট এইনসওয়ার্থ বিবিসিকে বলেন, \"বুঝতে পারিনা কেন কিছু মানুষ এগুলো করে। প্রথমত, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তাছাড়া এটা অনৈতিক। আমরা এরকম মানুষের সাথে কাজ করিনা।\" বিশ্বের যে সব প্রতিঠান নতুন অভিন্ন একটি বিষ কাটানোর ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছে, ব্রিটেনের লিভারপুলের এই প্রতিষ্ঠান তাদের একটি। সাধারণত নতুন কোনো ওষুধ গবেষণাগারে ইঁদুর বা অন্য কোনো প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। যখন তা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়, তখনই তা নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশে মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়। \"কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় (টিম ফ্রেডি যা করছেন) মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটা করা উচিৎ নয়।\" কিন্তু ওষুধ শিল্পে সাপের বিষ প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে গবেষণায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব রয়েছে। ব্রিটেন ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট, যারা সাপে কাটার চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা করছে, তাদের মতে \"উৎপাদন, নিরাপত্তা এবং ওষুধের কার্যকারিতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন কোনো মানদন্ড নেই। \" জীবনের ঝুঁকি সোশ্যাল মিডিয়াতে জনিপ্রয়তা পেতে তিনি নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন - এই অভিযোগ নাকচ করেছেন ফ্রেডি। \"শুধু ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য আমি এটা করিনি। আমি জীবন বাঁচাতে চেয়েছি। যাদের সাথে আমি কাজ করবো এমন চিকিৎসক খুঁজে পাওয়ার জন্য আমি ��উটিউবকে ব্যবহার করেছি। আমি এক ধরণের বাজি ধরেছিলাম যেটা কাজে লেগেছে।\" টিম ফ্রেডি কমপক্ষে ১২ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন বিশ্বের সাপের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০০। এদের মধ্যে দুশ'র মতো প্রজাতি এতটাই বিষধর যে তারা কামড়ালে মানুষের মৃত্যু হতে পারে বা মানুষ অঙ্গ হারাতে পারে। বিষধর এই প্রজাতির অনেকগুলোর সাথেই পরিচিত ফ্রেডি। কেউটে হোক, ভাইপার হোক বা ব্ল্যাক মাম্বা, গত ২০ বছরে তিনি দুশ' বারেরও বেশি স্বেচ্ছায় বিষধর এসব সাপের কামড় খেয়েছেন। এছাড়া, ৭০০ বার বিভিন্ন সাপের বিষ শরীরে ইনজেক্ট করেছেন। সাপে কামড়ালে শরীরে কত বিষ ঢুকবে তার পরিমাণ একেক সময় একেক রকম। কখনো কখনো সাপ কামড়ালেও বিষ ছাড়েনা। কী পরিমাণ বিষে কেমন প্রতিক্রিয়া তা বুঝতে ইনজেকশন করে শরীরে বিষ প্রয়োগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। \"আপনার শরীর যদি ব্ল্যাক মাম্বার মত সাপের বিষ-প্রতিরোধী না হয়, তাহলে এটা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করবে। আপনি শ্বাস নিতে পারবেন না, আপনার চোখ বন্ধ হয়ে আসবে। কথা বলতে পারবেন না, এবং ধীরে ধীরে আপনি অসাড় হয়ে পড়বেন। কিন্তু একইসাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন,\" ফ্রেডি বলেন। কেউটের কামড় সাংঘাতিক ফ্রেডি তার বাড়িতে বেশ কয়েক প্রজাতির বিষধর সাপ রাখেন, এবং তাদের কামড় খেয়ে প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করেন। ব্ল্যাক মাম্বার কামড়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যু হতে পারে। \"আমার কাছে আফ্রিকান জল কেউটে রয়েছে। এর কামড় ভয়াবহ।\" জল কেউটের বিষে দেহের স্নায়ুতন্ত্র অবশ করে ফেলে। \"অন্য কিছু জাতের কেউটে সাপের বিষে সাইটোটক্সিন থাকে যার ফলে অঙ্গহানি হতে পারে।\" একটি তত্ব রয়েছে যে ধীরে ধীরে শরীরে বিষের মাত্রা বাড়ালে, শরীর একসময় বিষ-প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। ফ্রেডি সেটাই অনুসরণ করছেন। কবে অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ব গ্রহণ করেন না। শরীরকে বিষ প্রতিরোধী করে তোলা বর্তমানে যে একটি মাত্র সাপের বিষ কাটানোর ওষুধ রয়েছে, জীবজন্তুর শরীরে এই তত্ব প্রয়োগ করেই তা তৈরি হয়। সাপ নিয়ে যেমন ভীতি রয়েছে, তেমনি অনেক দেশে সাপের কদরও রয়েছে। উনবিংশ শতাব্দী থেকে অ্যান্টি-ভেনম বা সাপের বিষ প্রতিরোধক ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। ঘোড়া বা ভেড়ার শরীরে স্বল্প মাত্রায় সাপের বিষ ঢুকিয়ে সেই রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি বা বিষ প্রতিরো��ক রাসায়নিক সংগ্রহ করা হয়। \"সাপ আমাকে হত্যা করতে চায়, কিন্তু আমি মরতে চাইনা। সুতরাং আমি আসলে এখানে ঘোড়ার ভুমিকা পালন করছি। ঘোড়ার মত আমরা কেন নিজেদের শরীরকে বিষ প্রতিরোধী করে তুলতে পারিনা?\" - ফ্রেডির প্রশ্ন। ৫২ বছর বয়সী সাবেক এই ট্রাক ড্রাইভার কোনো বিজ্ঞানী নন। কখনো তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি। কিন্তু সাপের কামড়ে মৃত্যুর ভীতি থেকে গত ২০ বছর ধরে তিনি ব্যতিক্রমী এই কাজে লিপ্ত হয়েছেন। প্রথমে তিনি পরীক্ষা শুরু করেন মাকড়সা এবং বিছা দিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে কেউটে সাপ এবং ব্ল্যাক মাম্বা সাপ নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার শরীরে এখন অনেক ক্ষত। কয়েকবার মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছেছিলেন। \"প্রায় ১২ বার আমাকে কঠিন সঙ্কটে পড়তে হয়েছে। প্রথম বছরে দুটো কেউটের কামড়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আপনাকে শিখতে হবে। কোনো ডাক্তার বা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আপনাকে শেখাতে পারবে না।\" অ্যান্টি-ভেনমের দাম অনেক, এবং অনেক সময় এর ভয়ঙ্কর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। দু-বছর আগে টিম ফ্রেডির এই ইউটিউব ভিডিও নজর কাড়ে প্রখ্যাত রোগতত্ববিদ জেকব গ্ল্যানভিলের। মি. গ্ল্যানভিল ওষুধ নির্মাতা ফাইজারের প্রিন্সিপ্যাল বিজ্ঞানী ছিলেন। চাকরি ছেড়ে নিজেই অ্যান্টি-ভেনম তৈরির জন্য কোম্পানি খুলেছেন। তিনি বলেন, \"টিম যা করছে তা অসামান্য। কিন্তু এটা বিপজ্জনক। এটা করার জন্য আমি অন্য কাউকে পরামর্শ দেবো না।\" ফ্রেডির রক্তের নমুনা ব্যবহার করে নতুন একটি অ্যান্টি-ভেনম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে মি. গ্ল্যানভিলের কোম্পানি।", "doc2": "Les morsures de serpent touchent principalement les personnes démunies vivant dans les régions les plus pauvres d'Afrique, d'Asie et d'Amérique latine. (Photo d'illustration) \"La première fois, c'était assez terrifiant parce que je ne savais pas à quoi m'attendre. J'avais l'impression d'avoir eu la main frappée par un coup de marteau \", se souvient David Williams, expert en morsures de serpents à l'Organisation mondiale de la santé (OMS). Il a été mordu six fois par un serpent. \"Ma dernière morsure de serpent aurait été fatale si on n'avait pas eu une trousse médicale d'urgence\" explique-t-il. Le Dr Williams affirme que la plupart des victimes \" n'ont pas ce luxe qui sauve des vies \". Lire aussi : Des serpents dans le bureau de George Weah La plus grande crise de santé cachée du monde Le praticien parcourt le monde pour recueillir les venins de serpents afin d'aider à mettre au point de nouveaux traitements contre les morsures de serpents. Selon l'OMS, les morsures de serpents sont \"sans doute la plus grande crise de santé cachée du monde\", avec une personne qui meurt d'une morsure toutes les quatre minutes. Des centaines de milliers d'autres sont gravement défigurés et beaucoup ont besoin d'être amputés. Le docteur David Williams parcourt le monde pour recueillir les venins de serpents afin d'aider à mettre au point de nouveaux traitements. Les morsures de serpent touchent principalement les personnes démunies vivant dans les régions les plus pauvres d'Afrique, d'Asie et d'Amérique latine. Les agriculteurs risquent leur vie tous les jours dans leurs champs. C'est là où les serpents venimeux se cachent. Les enfants sont aussi de potentielles victimes. C'est pourquoi deux grandes institutions de santé, comme l'OMS et le Wellcome Trust du Royaume-Uni, prennent actuellement des mesures pour lutter contre les morsures de serpents. Lire aussi : En Indonésie, la police utilise un serpent pour obtenir des aveux Les morsures de serpents augmenteraient la précarité L'OMS s'apprête à publier un plan visant à réduire de moitié le nombre de décès et de handicaps causés par les morsures de serpents d'ici 2030. \"Nous sommes à un tournant décisif dans la lutte contre les morsures de serpents pour les personnes les plus pauvres du monde,\" d'après le Dr Williams. \"Beaucoup vivent déjà dans la pauvreté et les conséquences d'une morsure de serpent sont qu'elles deviennent encore plus endettées et désespérées, même si elles survivent \". Les morsures venimeuses peuvent causer une paralysie, une insuffisance rénale ou hépatique, un saignement mortel ou une amputation. Les morsures de serpent en chiffres Source : OMS Au Kenya, Jackson Chepkui, 39 ans, est le père d'une fillette qui a perdu partiellement l'usage de son corps à cause d'une morsure de serpent. La morsure de serpent, bien que potentiellement mortelle, est traitable. Mike Turner, directeur de la recherche scientifique de Wellcome, confirme : \"avec un accès à un anti-venin adéquat, les chances de survie sont élevées\". \"Même si les gens seront toujours mordus par des serpents venimeux, pour autant il n'y a aucune raison que tant de gens meurent\" s'indigne-t-il. Le Dr Philip Price, responsable scientifique des morsures de serpents au Wellcome Trust, affirme qu'il y a une \"spirale du déclin\" lorsqu'il s'agit de traiter les morsures de serpents. \"Les traitements sont chers, les personnes qui en ont besoin n'ont souvent pas les moyens et dans certains cas, certaines ne peuvent pas se rendre à l'hôpital à temps \". Voir aussi : Les morsures de serpent, un fléau désormais reconnu comme une priorité mondiale par l'OMS. Le Dr Price ajoute que même lorsque les personnes arrivent à l'hôpital, il est courant que les médecins ne soient pas suffisamment formés et que les traitements ne soient pas disponibles. Il explique aussi que des patients peuvent se tourner vers les guérisseurs traditionnels, ce qui signifie que ceux-là \"échappent au radar\". C'est pourquoi, \"la plupart des pays ne sont même pas conscients qu'ils ont un problème de morsure de serpent\". Lire aussi : Steve Ludwin, l'homme qui s'injecte du venin de serpent Comment traite-t-on les morsures de serpent ? Le traitement anti-venin n'a pas changé depuis plus de 100 ans. Ce processus coûteux et laborieux consiste à prélever des anticorps à partir du sang de cheval pour fabriquer des anticorps anti-venin. Mais même ainsi, il est estimé que dans le monde, on ne produit qu'un tiers de l'anti-venin dont nous avons besoin. Il est estimé que dans le monde, on ne produit qu'un tiers de l'anti-venin dont nous avons besoin. Les chevaux reçoivent de très faibles doses de venin de serpent sur de longues périodes dans le temps, afin de ne pas nuire à l'animal, selon le Dr Price. \"Puis le sang est prélevé sur le cheval et les anticorps sont purifiés. Les anticorps contenus dans ce sang se lient et neutralisent ensuite le venin''. \"Ce n'est pas sans risque de l'injecter directement au patient \" avertit le médecin. Ces risques signifient que les victimes doivent être soignées à l'hôpital mais la plupart d'entres elles peuvent prendre des heures, voire des jours, pour se rendre à destination. Il est alors souvent trop tard pour sauver des vies et des membres. Lire aussi : Indonésie: il tue un serpent à mains nues Un autre défi majeur est que beaucoup d'anti-venins disponibles ne sont pas réellement efficaces. Différents types de morsures de serpents nécessitent différents types d'anti-venin. Par exemple, en Afrique, on estime que jusqu'à 90 % des anti-venins disponibles sont inefficaces. Actuellement, il n'existe aucune liste officielle au niveau internationale répertoriant tous les anti-venins disponibles et ceux qui sont utilisés. En Afrique, on estime que jusqu'à 90 % des anti-venins disponibles sont inefficaces. Ce n'est pas sorcier Malgré les défis, atteindre l'objectif de l'OMS, celui de réduire de moitié le nombre de décès et de handicaps causés par les morsures de serpents au cours de la prochaine décennie n'est \"pas si difficile\", selon le Dr Williams. Ce dernier a passé pendant dix ans à améliorer les traitements contre les morsures de serpents mais aussi à encourager la prévention, en particulier en Papouasie-Nouvelle-Guinée. \"En 2003, en Papouasie-Nouvelle-Guinée, un enfant sur quatre mordu par un serpent trouvait la mort. Aujourd'hui, c'est moins d'un sur 50 \" affirme-t-il avec fierté. Selon le Dr Williams, bien que le nombre de décès reste encore élevé, y remédier \" n'est pas sorcier\". Selon le Dr Williams, bien que le nombre de décès reste encore élevé, y remédier \" n'est pas sorcier\". \"Il faut avoir des anti-venins sûrs et efficaces, des agents de santé formés, des communautés qui s'occupent du problème, à qui l'on enseigne comment mieux prévenir les morsures de serpents et quoi faire quand quelqu'un est mordu'' estime-t-il. Le médecin espère que les projecteurs seront enfin braqués sur le problème sanitaire que constitue les morsures de serpents. L'OMS annoncera sa stratégie visant à réduire les décès et les handicaps causés par les morsures de serpents dans le courant du mois lors de l'Assemblée mondiale de la santé à Genève."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50980013", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50965931", "doc1": "পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে তারা জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে তাকে 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছে'। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হওয়া এক হামলায় মারা যাওয়া বেশ কয়েকজনের মধ্যে কাসেম সোলেইমানি রয়েছেন। ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি জেনারেল সোলেইমানি। তার কুদ'স বাহিনী সরাসরি দেশটির প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে রিপোর্ট করে। আয়াতুল্লাহ খামেনির পর জেনারেল সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, এই হামলার পেছনে থাকা 'অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ' নেয়া হবে। জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি। মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরানের সাথে সম্পর্ক আছে, এমন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি। মার্কিন হামলা বা কারো নিহত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া গ্রুপ পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস রয়টার্সকে জানিয়েছে, জেনারেল সুলেইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হয়েছেন। এর আগের খবরে বলা হয় বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট হামলায় অনেক মানুষ মারা গেছে। এই হামলার পরপর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম প্রায় ৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হামলা ক্ষুব্ধ জনতার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে অবরোধের হুমকি ইরান-বিরোধী মুজাহিদিনরা কী করছে ইউরোপে? কীভাবে জানা গেলো হামলার ঘটনা? পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, \"প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশে থাকে মার্কিন নাগরিকদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনী এক অভিযানে জেন���রেল সুলেইমানিকে হত্যা করেছে।\" ইরানের সম্ভাব্য ভবিষ্যত হামলাকারী বিমানকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। পেন্টাগন দাবি করছে, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন জেনারেল সোলেইমানি। বেিমানবন্দরে হামলায় অনেকে মারা গেছেন বলে বলা হচ্ছে \"ইরানের ভবিষ্যত আক্রমণের পরিকল্পনা বানচাল করতে এই হামলা চালানো হয়। সারাবিশ্বে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।\" ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডসও জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে বড় সংখ্যক ইরাকি মিলিশিয়া আটক হয়েছে বলেও খবরে জানা যাচ্ছে, তবে এবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কয়েকদিন আগে বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করার পর মার্কিন সেনাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় - ঐ ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন যে ঐ অঞ্চলে মার্কিন কোনো ব্যক্তির ওপর আক্রমণ তারা বরদাস্ত করবে না। দূতাবাসে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন মি. এসপার। এক বিবৃতিতে বলা হয়, \"আমাদের ওপর কোনো হামলা হলে তার জবাব আমাদের পছন্দের জায়গায় ও সময়ে দেয়া হবে। ইরানি শাসনব্যবস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন তাদের হঠকারি কার্যক্রম বন্ধ করে।\" বাগদাদের বিমানবন্দরের বাইরে জলন্ত গাড়ির ধ্বংসাবশেষ ইরান কী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে? ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভেদ যারিফ এই হামলাকে 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, \"যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের হঠকারিতার ফল ভোগ করবে।\" রেভোলিউশনারি গার্ডসের সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়েই বলেছেন, \"ইরান অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেবে।\" ইরান সরকারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে ঘন্টাখানেকের মধ্যে দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এই 'অপরাধী কার্যক্রম'এর বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবেন। জেনারেল কাসেম সোলেইমানি কে ছিলেন? ১৯৯৮ সাল থেকে মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরানের কুদ'স ফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডসের এই অভিজাত বাহিনীটি দেশের বাইরে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে থাকে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের ইরান সমর্থিত সরকারকে মদদ দেয়া এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জেনারেল সোলেইমানি। ১৯৮০'র দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি প্রথম পরিচিতি লাভ করেন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘসময় ধরে শত্রুভাবাপন্ন হলেও ইরাকে আইএস'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আদর্শগত দিক বিবেচনায় পরোক্ষভাবে একে অপরকে সহায়তা করেছিল তারা। জেনারেল সোলেইমানি দুই বৈরি ভাবাপন্ন দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও গত কয়েকবছরে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের হেজবোল্লাহ অভিযান ও প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামি জিহাদের মত যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন করতে ইরানের 'প্রাথমিক অস্ত্র কুদ'স ফোর্স।' এসব সংগঠনকে তারা অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড ও তাদের অধীনস্থ কুদস ফোর্সকে এপ্রিলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।", "doc2": "Le général Qasem Soleimani a commandé les opérations militaires iraniennes dans la région Cet homme de 62 ans a été le fer de lance des opérations militaires iraniennes au Moyen-Orient en tant que chef de la force d'élite iranienne Quds. Il a été tué à l'aéroport de Bagdad, en même temps que d'autres figures de la milice soutenue par l'Iran, vendredi tôt le matin, lors d'une frappe ordonnée par le président américain Donald Trump. L'assassinat de Soleimani marque une escalade majeure des tensions entre Washington et Téhéran. Lire aussi: Sous sa direction, l'Iran avait renforcé le Hezbollah au Liban et d'autres groupes militants pro-iraniens, étendu la présence militaire de l'Iran en Irak et en Syrie et orchestré l'offensive de la Syrie contre les groupes rebelles dans le cadre de la longue guerre civile du pays. Le guide suprême de l'Iran, l'ayatollah Ali Khamenei, a déclaré \"qu'une sévère vengeance attend les criminels\" derrière l'attaque. Il a également annoncé trois jours de deuil national. Soleimani était largement considéré comme la deuxième figure la plus puissante en Iran, derrière l'Ayatollah Khamenei. Sa Force Quds, une unité d'élite des Gardiens de la révolution iranienne, relevait directement de l'ayatollah et il était salué comme une figure nationale héroïque. Mais les Etats-Unis ont appelé le commandant et la Force Quds des terroristes et les tiennent pour responsables de la mort de centaines de membres du personnel américain. Qu'est ce qui s'est passé ? Le président Trump, qui était en Floride au moment de la frappe, a tweeté une image du drapeau américain peu après que la nouvelle ait été annoncée. Une déclaration du Pentagone - le siège du Département américain de la défense - a indiqué que M. Soleimani avait \" élaboré des plans pour attaquer des diplomates et des membres des services américains en Irak et dans toute la région \". \"Cette attaque avait pour but de dissuader les futurs plans d'attaque iraniens \", a-t-il ajouté. Entre-temps, les prix mondiaux du pétrole ont grimpé de plus de 4 % à la suite de l'attaque. Soleimani et des responsables des milices soutenues par l'Iran quittaient l'aéroport de Bagdad à bord de deux voitures lorsqu'ils ont été touchés par un drone américain près d'une zone de fret. Le commandant devait prendre un vol en provenance du Liban ou de Syrie. Plusieurs missiles ont frappé le convoi et au moins sept personnes auraient trouvé la mort. Abu Mahdi al-Muhandis (centre) a également été tué lors de la frappe de vendredi Qui était Qasem Soleimani ? A partir de 1998, Qasem Soleimani a dirigé la Force Quds de l'Iran qui s'occupe des opérations clandestines à l'étranger. L'Iran a reconnu le rôle de la Force Quds dans les conflits en Syrie, où elle a conseillé les forces loyales au président Bachar al-Assad et a armé des milliers de miliciens musulmans chiites qui combattent à leurs côtés, et en Irak, où elle a soutenu une force paramilitaire à dominante chiite qui a aidé à lutter contre la SI. Ces conflits ont fait de Soleimani, jadis isolé, une sorte de célébrité en Iran. L'administration Trump a déclaré que la Force Quds est \" le principal mécanisme de l'Iran pour cultiver et soutenir \" les groupes terroristes désignés par les États-Unis dans tout le Moyen-Orient - y compris le mouvement Hezbollah du Liban et le Jihad islamique palestinien - en leur fournissant du financement, de l'entraînement, des armes et de l'équipement. Le Secrétaire d'Etat américain Mike Pompeo a désigné les Gardiens de la Révolution iraniens et sa Force Quds comme organisations terroristes étrangères en avril."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50713137", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/50716657", "doc1": "আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসরে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা নিয়ে কেউ অংশ নিতে পারবে না এর মানে হচ্ছে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকস এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা দেখা যাবে না কিংবা রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না। যেসব রুশ অ্যাথলিট প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা বলবর্ধক মাদক ব্যবহার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত নন, তারা অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবেন। তবে রুশ পতাকার পরিবর্তে একটি নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সুইটজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। এর আগে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (রুসাডা) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে এই কেলেংকারির তদন্তে তারা সহযোগিতা করছে না। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার যেসব তথ্য হস্তান্তর করেছিল, তাতে কারসাজি করা হয় বলে অভিযোগ করছে ওয়াডা। রাশিয়ায় সরকারি মদতে খেলাধুলায় ব্যাপকভাবে বলবর্ধক মাদক ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে কয়েক বছর ধরে। এর আগেও তিন বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল, যদিও সিদ্ধান্তটি ছিল বেশ বিতর্কিত। এবারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রাশিয়াকে ২১ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ন্সশীপে শটপুটে অংশ নিচ্ছেন এক রুশ প্রতিযোগী ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকসে রাশিয়ার ১৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেও তাদের রুশ পতাকার পরিবর্তে নিরপেক্ষ পতাকা বহন করতে হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচিতে যে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস হয়েছিল, তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডোপিং কেলেংকারির অভিযোগ ওঠে। রাশিয়া সেবার ১৩টি স্বর্ণপদক সহ মোট ৩৩টি পদক জিতেছিল। রাশিয়া একটি দেশ হিসেবে যে কোন ধরণের আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ। তবে এবারের এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও 'ইউরো ২০২০' ফুটবল টুর্নামেন্টে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে। কারণ ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা 'ইউয়েফা'র বেলায় অ্যান্টি ডোপিং সংস্থার নিয়ম-কানুন প্রযোজ্য নয়। 'ইউরো ২০২০' টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নগরী হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ। অলিম্পিক গেমসেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া যেভাবে রাশিয়া এই কেলেংকারিতে জড়ালো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিং এর অভিযোগ ওঠে ২০১৫ সালে। সেবছরের নভেম্বরে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা' মাদক বন্ধে সহযোগিতা করছে না বলে ঘোষণা করে ওয়াডা। সংস্থার এক রিপোর্টে তখন বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় সরকারি মদতেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্সে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপর ২০১৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চার বছর ধরে ডোপিং কর্মসূচি চলেছে যাতে করে তাদের প্রতিযোগীরা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য খবর: নিউজিল্যান্ডের দ্বীপে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ৫ দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে বিপিএল: জাঁকজমক বনাম ক্রিকেট ২০১৮ সালে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা'র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল এই শর্তে যে তারা তাদের মস্কো ল্যাবরেটরিতে ২০১২ হতে ২০১৫ সালে করা সব পরীক্ষার ডেটা ওয়াডার হাতে তুলে দেবে। কিন্তু ২০১৭ সালে ফাঁস করা রিপোর্টের এক কপিতে দেখা যায় ডোপিং টেস্টে মাদক ব্যবহারের ঘটনা ধরা পড়েছে এমন অনেক তথ্য 'রুসাডা' গোপন করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আজ যে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হলো তার ফলে দেশটি আগামী চার বছর কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। কোন প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও চেষ্টা করতে পারবে না।", "doc2": "Le drapeau russe ne flottera ni aux Jeux olympiques et paralympiques de Tokyo 2020 ni lors la Coupe du monde de football 2022 au Qatar. Le drapeau russe ne flottera ni aux Jeux olympiques et paralympiques de Tokyo 2020, ni lors la Coupe du monde de football 2022 au Qatar. Mais certains athlètes russes pourront concourir sous un drapeau neutre s'ils peuvent prouver qu'ils ne sont pas affectés par le scandale. A lire aussi : Le sommet Russie-Afrique débute ce mercredi Quelles sont les intentions de Poutine en Afrique? Le bâtiment du Comité olympique russe à Moscou, en Russie Cette décision a été prise lors d'une réunion à Lausanne, en Suisse, lundi. Le Premier ministre russe Dmitri Medvedev a déclaré que l'interdiction faisait partie de \"l'hystérie antirusse chronique\" mais il a tout de même ajouté : \"Il est évident que des problèmes de dopage importants existent toujours en Russie, je veux dire notre communauté sportive. C'est impossible à nier\". \"Mais d'un autre côté, le fait que toutes ces décisions soient répétées, affectant souvent des athlètes qui ont déjà été sanctionnés d'une manière ou d'une autre, sans parler de certains autres points - bien sûr, cela fait penser que cela fait partie de \"l'hystérie antirusse chronique\", a ajouté Dmitri Medvedev. A lire aussi : Athlétisme : le Kényan Kiprop suspendu pour dopage La Russie a 21 jours pour faire appel de l'interdiction. Si tel est le cas, l'appel sera renvoyé devant le Tribunal Arbitral du Sport (TAS). Le président de l'AMA, Sir Craig Reedie, a déclaré que la décision montrait sa \"détermination à agir résolument face à la crise du dopage russe\" et à apporter \"une réponse ferme\". C'est exactement ce qui a été décidé. Le monde du dopage Athlétisme : le Kényan Kiprop suspendu pour dopage Samir Nasri suspendu pour 6 mois"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50198792", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50199843", "doc1": "ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মি. ট্রাম্পের ভাষায়, বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু বকর আল-বাগদাদিকে বিচারের আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। শনিবার রাতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় রাতের বেলায় একটি অভিযান চালানো হয়। সে সময় আবু বকর আল-বাগদাদি নিজের শরীরে থাকা সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, অভিযানে কোন মার্কিন সেনা নিহত হয়নি, বরং আল-বাগদাদির বেশ কয়েকজন অনুসারী নিহত হয়েছে। মি. বাগদাদিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে মার্কিন সরকার পুরষ্কার ঘোষণা দেয়। পরে পুরষ্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়। এর আগে থেকেই মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, কথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির পলাতক নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর একটি অভিযানে নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় আইএস নেতার খোঁজে অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। অভিযানটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কোথায় লুকিয়ে আছেন আইএস নেতা আল-বাগদাদী? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে নিউজউইক লিখেছে, 'নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের' ভিত্তিতে বিশেষ বাহিনী এই অভিযানটি পরিচালনা করেছে। এর আগে বেশ কয়েকটি ঘটনায় ভুলভাবে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, আইএস নেতা নিহত হয়েছেন। তব�� এসব খবরের পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশে হেলিকপ্টারের গুলিতে একটি গ্রামে নয়জন বাসিন্দা নিহত হয়েছে, যেখানে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের উপস্থিতি রয়েছে। আইএস নেতা আল-বাগদাদী বিশ্বের কোথায় লুকিয়ে আছেন তা স্পষ্ট নয় আবু বকর আল-বাগদাদি কে? আবু বকর আল বাগদাদীর আসল পরিচয় কী তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আল বাগদাদী তার আসল নাম নয় বলে মনে করা হয়। নাম আবু বকর আল-বাগদাদি - তবে তার আসল নাম ইব্রাহিম আওয়াদ আল-বদরি। ধারণা করা হয়, ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারার কাছে একটি সুন্নি পরিবারে তার জন্ম। অল্প বয়সে গভীরভাবে ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিনি ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোরানিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে ইঙ্গ-মার্কিন আক্রমণের শিকার হয়ে ক্যাম্প বুকাতে বন্দী হন তিনি। সেখানে তিনি প্রাক্তন ইরাকী গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ অন্য বন্দীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চলে, তখন আল বাগদাদি বাগদাদের কোন একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে দাবি করা হয় কোন কোন রিপোর্টে। অনেকের বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আল বাগদাদি জঙ্গি জিহাদীতে পরিণত হয়েছিলেন। তবে অন্য অনেকের ধারণা, যখন তাকে দক্ষিণ ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ক্যাম্পে চার বছর আটকে রাখা হয়েছিল তখনই আসলে আল বাগদাদি জঙ্গিবাদে দীক্ষা নেন। এই ক্যাম্পে অনেক আল কায়েদা কমান্ডারকে বন্দী রাখা হয়েছিল। আল বাগদাদি পরে ইরাকে আল কায়েদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে অবশ্য ইরাকের আল কায়েদা নিজেদেরকে ২০১০ সালে 'ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড লেভান্ট' বলে ঘোষণা করে। ২০১১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র আল বাগদাদীকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করে। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মহাসড়কজুড়ে হাজার হাজার ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ সঙ্গীর ফোনে নজরদারি যখন মাথাব্যাথার কারণ জীবন বাজি রেখে ব্রিটেনে আসতে মরিয়া ভিয়েতনামীরা সামাজিক নেটওয়ার্ক কীভাবে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে", "doc2": "Abou Bakr al-Baghdadi est apparu pour la dernière fois en vidéo en avril 2019. \"Abou Bakr al-Baghdadi est mort\", a-t-il dit lors d'une allocution depuis la Maison Blanche. Un \"grand nombre\" de combattants de l'Etat islamique sont morts dans le raid américain à l'origine de sa mort, selon le président américain. Depuis cinq ans, les Etats-Unis avaient promis une récompense de 25 millions de dollars US en échange de toute information à même d'indiquer le lieu où se trouvait al-Baghdadi. Sous son magistère, l'Etat islamique contrôlait 88 000 kilomètres carrés s'étendant de l'ouest de la Syrie à l'est de l'Irak. L'organisation djihadiste impose la loi islamique à près de huit millions de personnes vivant en Irak, en Iran et en Syrie. Le chef de l'Etat islamique était connu dans le monde depuis 2014 après avoir annoncé la création d'un \"califat\" dans certaines régions d'Irak et de Syrie. Son organisation a commis un certain nombre d'atrocités qui ont fait des milliers de morts dans plusieurs pays. Lire aussi : Une femme peut-elle diriger une communauté religieuse en islam? Aida Diallo, 'femme guide religieux', crée la controverse au Sénégal Malgré la disparition de son leader, l'Etat islamique demeure une force aguerrie et bien disciplinée, dont la défaite n'est pas assurée. Al-Baghdadi - dont le vrai nom est Ibrahim Awwad Ibrahim al-Badri - est né en 1971 dans la ville de Samarra, au centre de l'Irak, dans une famille religieuse arabe sunnite qui prétendait descendre de la tribu du prophète Mahomet."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51357872", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51356595", "doc1": "চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। গত দু'সপ্তাহের মধ্যে যারা চীন সফর করেছে,তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবে না বলেও ঘোষণা দেয়। তারপরই চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলো। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের ফলে বরং আতংক ছড়িয়ে পড়বে। চীনে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চীন আর কী বলেছে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়ার পরিবর্তে বরং আতংক ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে প্রথম দেশ যারা চীনাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এবং চীন থেকে তাদের দূতাবাসের কিছু কর্মীকে সরিয়ে নিল। \"যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ, যাদের কীনা মহামারী ঠেকানোর শক্তিশালী ব্যবস্থা আছে, তারাই কীনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ না মেনে মাত্রাতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করলো।\" যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশও চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, সীমান্ত বন্ধ করে দিলে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াবে, কারণ তখন লোকজন অন্যপথে বিভিন্ন দেশে ঢোকার চেষ্টা করবে। চীনের মূল ভূখন্ডে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৩৬১ জন মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর চ���ন সরকার ভীষণ ক্ষিপ্ত অন্যদিকে চীনের বাইরে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনে করোনাভাইরাসে মারা গেছে একজন। যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে গত ২৩শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে জরুরী কাজে নিয়োজিত ছাড়া অন্য সব মার্কিন নাগরিককে চলে যেতে বলে। এর এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার জরুরি কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারি ছাড়া আর সব সরকারি কর্মচারি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চীন ছাড়ার অনুমতি দেয়। গত ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের ব্যাপারে বিশ্ব জুড়ে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে তাদের সব সরকারি কর্মচারির পরিবারের ২১ বছরের কম বয়সী সদস্যদের চলে আসতে নির্দেশ দেয়। অন্যান্য খবর: পটুয়াখালীতে ২০ জন চীনা নাগরিক কোয়ারেন্টাইনে ট্রাম্পকে হারানোর লড়াই শুরু হচ্ছে আমেরিকায় ঢাকায় যে ৫ কারণে এত কম ভোট পড়েছে চীনের হুবেই প্রদেশে ছিলেন, এমন মার্কিন নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর তাদের ১৪ দিন 'কোয়ারাইন্টইনে' বা সবার কাছ থেকে আলাদা অবস্থায় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় কী কাজ হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডঃ টেড্রোস আডহানম জেব্রেইয়েসাস বলেন, \"ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভালোর চেয়ে ক্ষতির আশংকাই বেশি। কারণ এর ফলে তথ্য বিনিময় এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।\"", "doc2": "Le gouvernement chinois affirme que les États-Unis ont \"répandu la peur\" au lieu de proposer leur aide Cette accusation fait suite à la déclaration d'urgence de santé publique faite vendredi par les États-Unis. Le pays refuse l'entrée aux ressortissants étrangers qui se sont rendus en Chine au cours des deux dernières semaines. Lire aussi : Le porte-parole du ministère chinois des affaires étrangères, Hua Chunying, a déclaré que les actions américaines \"ne pouvaient que créer et répandre la peur\". Il y a eu plus de 17.000 cas confirmés de virus en Chine. Qu'est-ce que la Chine a dit d'autre ? Lors d'un point de presse lundi, Mme Hua a accusé les États-Unis de répandre la peur au lieu d'offrir une assistance - disant qu'ils étaient le premier pays à imposer une interdiction de voyager aux ressortissants chinois et le premier à suggérer un retrait partiel du personnel de son ambassade. \"Ce sont précisément les pays développés comme les États-Unis qui ont de fortes capacités de prévention des épidémies... qui ont pris l'initiative d'imposer des restrictions excessives contraires aux recommandations de l'OMS\", a-t-elle déclaré, selon un rapport de Reuters. Lire aussi : Une poignée de pays comme l'Australie a également imposé une interdiction d'entrée aux voyageurs chinois peu après l'interdiction américaine. L'OMS a en fait averti que la fermeture des frontières pourrait accélérer la propagation du virus, si les voyageurs entrent dans les pays de manière non officielle. Rien qu'en Chine continentale, quelque 361 personnes sont mortes du virus. En dehors de la Chine, il y a plus de 150 cas confirmés de virus et un décès aux Philippines. Quelles mesures les États-Unis ont-ils prises ? Le 23 janvier, les États-Unis ont ordonné le départ de tout le personnel américain non urgent et des membres de leur famille de Wuhan, dans la province de Hubei, d'où le virus était originaire. Moins d'une semaine plus tard, ils ont autorisé le départ volontaire de Chine du personnel non urgent et des membres de la famille des employés du gouvernement américain. Le 30 janvier, l'Organisation mondiale de la santé a déclaré une urgence sanitaire mondiale concernant le nouveau virus. Lire aussi : Suite à cela, les États-Unis ont ordonné le départ de tous les membres de la famille du personnel américain âgés de moins de 21 ans en Chine. Tout citoyen américain qui a séjourné dans la province de Hubei sera soumis à une quarantaine de 14 jours à son retour aux États-Unis. WannaCry, le virus qui expose la faiblesse du monde interconnecté Que font les autres pays pour endiguer l'épidémie ? Divers pays ont imposé des restrictions de voyage à des degrés divers. D'autres pays ont vu leurs transporteurs nationaux suspendre temporairement tous leurs vols vers la Chine continentale. Il s'agit notamment de l'Égypte, de la Finlande, de l'Indonésie, du Royaume-Uni et de l'Italie. Corona hopital Cas de coronavirus en dehors de la chine Selon des statistiques fournies par le Centre européen de prévention et de contrôle des maladies, le 2 février, voilà les cas répertoriés à travers le monde, en dehors de la Chine : Japon (20), Thaïlande (19), Singapour (18), Corée du Sud (15), Australie (12), Taiwan (11), Malaisie (8), Etats-Unis (8), Allemagne (8), Vietnam (7), France (6), Emirats Arabes Unis (5), Canada (4), Italie (2), Angleterre (2), Inde (2), Philippines (2), Russie (2), Cambodge (1), Finlande (1), Népal (1), Sri Lanka (1), Espagne (1), Suède (1). Les interdictions de voyager sont-elles efficaces ? Les responsables de la santé mondiale ont déconseillé ces interdictions. \"Les restrictions de voyage peuvent faire plus de mal que de bien en entravant le partage d'informations, les chaînes d'approvisionnement médical et en nuisant aux économies\", a déclaré vendredi le directeur de l'OMS, le Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus. L'OMS recommande plutôt d'introduire un dépistage aux postes frontières. Dr Marie Khemesse Ngom Ndiaye : \"Nous mettons en place le dispositif actif de caméras\" A quel point le virus est-il mortel ? Plus de 75.000 personnes pourraient avoir été infectées dans la ville de Wuhan, qui est à l'épicentre de l'épidémie, selon les experts. Mais les estimations de l'Université de Hong Kong suggèrent que le nombre total de cas pourrait être bien plus élevé que les chiffres officiels. Un rapport sur les premiers stades de l'épidémie, publié par le journal médical Lancet, a indiqué que la plupart des patients qui sont morts du virus avaient des conditions préexistantes. Le rapport a constaté que, sur les 99 premiers patients traités à l'hôpital Jinyintan de Wuhan, 40 avaient le cœur faible ou des vaisseaux sanguins endommagés. Douze autres patients étaient diabétiques. Lire aussi : Le virus provoque une grave infection respiratoire aiguë et les symptômes semblent commencer par une fièvre, suivie d'une toux sèche. Mais la plupart des personnes infectées ont des chances de se rétablir complètement - comme elles le feraient d'une grippe normale. Un expert de la Commission nationale chinoise de la santé (NHC) a déclaré qu'une semaine suffisait pour se remettre de symptômes légers liés au coronavirus. Regarder : En Chine, des célibataires portent des masques lors des rendez-vous"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52678251", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51767334", "doc1": "এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের ভুয়া পরামর্শ। করোনাভাইরাস ঠেকাতে নানা ধরনের স্বাস্থ্য পরামর্শ দেখা যাচ্ছে - যেগুলো প্রায়ই হয় অপ্রয়োজনীয় নয়তো বিপজ্জনক। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নয়, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রুপ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেও ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে মহামারির এসময়ে ভুয়া খবর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর চড়াও হয়েছে সরকার। ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ সম্প্রতি ফেসবুকে এমন অসংখ্য পোস্ট দেখা গেছে যেখানে লেখা: রসুন খেয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে \"যদিও রসুন একটা স্বাস্থ্যকর খাবার এবং এটাতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল আছে\" কিন্তু এমন কোন তথ্য প্রমাণ নেই যে রসুন নতুন করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে যে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে একজন নারী দেড় কেজি কাঁচা রসুন খেয়ে মরণাপন্ন হয়েছে। ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, এ ধরণের ভিত্তিহীন পরামর্শের কারণে মানুষ অনেক সময় মূল স্বাস্থ্যবিধি বাদ দিয়ে অন্যদিকে ঝুঁকে যেতে পারে। \"মহামারির সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। তখন যে বিষয়টা প্রতিকার দেবে বলে মনে হয়, মানুষ তখন সেটা গ্রহণ করতে চায়। এর একটা ভয়াবহ দিক হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের জন্য বৈজ্ঞানিক পন্থা থেকে মানুষ সরে আসতে চায়।\" করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে নানা ভুয়া খবর ছড়িয়েছে অজ্ঞতা ও গুজব পৃথিবীজুড়ে সর্বশেষ মহামারি এসেছিল ১০০ বছর আগে যেটি ছিল স্প্যানিশ ফ্লু। তবে ডিজিটাল যুগে এটাই প্রথম মহামারি, যেটি পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে মানুষের হাতে কাছে এখন প্রচুর তথ্য। এর মধ্যে কোনটি গুজব আর কোনটি সত্য - এটি নির্ণয় করা মানুষের জন্য বেশ কঠিন। মার্চ মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়িয়েছিল যে থানকুনি পাতা খেলে করোনাভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না। একজন পীরের বরাত দিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে এই গুজব। এছাড়া টেলিফোনের মাধ্যমেও একজন থেকে আরেকজনের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যায়। ফলে হাজার-হাজার মানুষ থানকুনি পাতা সংগ্রহ করতে নেমে যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করেন। তার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে - বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু মহামারির সাথে পরিচিত নয়, সেজন্য নানা রকম ভয় এবং উদ্বেগ থেকেই এমন তথ্য ছড়িয়েছে। \"যখন এ রকম একটা ভয়াবহ রোগ, যার কোন ঔষধ নাই, মানুষ তখন অনেক কিছু ট্রাই করে। থানকুনি পাতার ঔষধি গুণ আছে,এটা পরীক্ষিত। কিন্তু এটার সাথে করোনার কোন সম্পর্ক নাই।\" সুস্মিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তিনি বলেন, মহামারির সময় মানুষ চিকিৎসা নিয়ে আশা খুঁজতে চায়। চিকিৎসকরা বলছেন, যে কোন মহামারির সময় মানুষ উদ্বেগ এবং আতঙ্ক থেকে নানা ধরণের প্রতিকারের উপায় খুঁজতে থাকে। এক্ষেত্রে যেসব তথ্য তাদের চিন্তাধারার সাথে মিলে যায়, সেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকুক না থাকুক - তখন মানুষ সেগুলো গ্রহণ করে। ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজি সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে তার বেশিরভাগই অজ্ঞতা থেকে হয়েছে। \"মহামারির সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। দুর্বল মনের মানুষ খড়কুটো দেখলেও আঁকড়ে ধরতে চায়। অনেক সময় সেখান থেকেও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন তথ্য পেলেও মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে,\" বলেন মি: বেন্নুর। ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি - চিকিৎসা থেকে ধর্ম বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব বিষয় ভাইরাল হয় সেগুলো আদৌ সত্য কি না তা যাচাই করে দেখে বিডি ফ্যাক্ট চেক এবং বুম বাংলাদেশ নামে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর আগে থেকেই গত আড়াই মাসে ৯০ টি ভাইরাল খবর যাচাই করে তারা দেখেছেন যে সেগুলো সত্য নয়। ভারতের সুপরিচিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির বরাত দিয়ে কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ সম্প্রতি ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেবী শেঠিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে কাশি এবং জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। বুম বাংলাদেশ-এর কদরুদ্দীন শিশির বলেন, তারা যাচাই করে দেখেছেন, মি: শেঠি এ ধরণের কোন পরামর্শই দেননি। করোনাভাইরাসের সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুয়া খবর যেমন ছড়িয়েছে, তেমনি অন্য এমন কিছু বিষয় ছড়িয়েছে যেগুলোর রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মাত্রা রয়েছে। এসব ভুয়া খবর ছড়ানোর সাথে ধর্মীয় গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও তাদের অনুসারীরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকেই এমন খবর ছড়িয়েছে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের প্রেসিডেন্ট দেশটির বিভিন্ন মসজিদে যাচ্ছেন এবং অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। করোনাভাইরাসের সময় ইন্টারনেটে যেসব গুজব ছড়িয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে বেসরকা���ি সংস্থা সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া এন্ড ডেভেলপমেন্ট। আফিয়া সুলতানা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশে যারা ওয়াজ-মাহফিল করেন তাদের মধ্যে অনেকে ইউটিউবের মাধ্যমে নানা ভিত্তিহীন কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। \"মুসলমানদের করোনা হবে না, করোনা হচ্ছে আল্লাহর সৈনিক। চীনকে শাস্তি দেয়ার জন্য এবং বিধর্মীদের শাস্তি দেয়ার জন্য এটা আল্লাহ পাঠিয়েছে - এ রকম বহু কথা ইউটিউবে এবং ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে,\" বলেন আফিয়া সুলতানা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধি-নিষেধ গুজবের বিষয়টিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নতুন বিধি নিষেধ আরোপ করতে দেখা যাচ্ছে যার অংশ হিসেবে লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী এবং কার্টুনিস্টসহ চারজনকে আটক করেছে এবং ১১ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গুজবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরকারি অব্যবস্থাপনাকে ঢাকার চেষ্টাও করা হয়েছে। আক্রান্ত কিংবা মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বহু মর্মস্পর্শী বর্ণনা ফেসবুকের মাধ্যমে উঠে এসেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার দুরবস্থা নিয়ে ডাক্তার এবং নার্সরা নানা সমস্যা এবং হতাশার কথা ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে একের পর এক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। যেসব ডাক্তার এবং নার্স ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক্তার এবং নার্সরা যাতে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে না পারেন সেজন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে অনেকে ফেসবুকে তাদের ক্ষোভ এবং হতাশার কথা তুলে ধরেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে তিনি আতঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। \"মানুষ হসপিটালে হসপিটালে দৌড়চ্ছে তার ভাই নিয়ে, মা নিয়ে, বাবা নিয়ে। কোন হসপিটাল তাদের রাখছে না। হসপিটালে ডাক্তারদের সরঞ্জাম নেই, ডাক্তাররা মারা যাচ্ছেন। এটা তো মেনে নেয়াও কঠিন।\" \"সমালোচনা করার অধিকার আমার আছে। আমি এদেশের একজন নাগরিক। কিন্তু গুজবটাকে এখন ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন যারা আধিপত্যশীল ত��রাই,\" বলছিলেন সুম্মিতা চক্রবর্তী। বাংলাদেশে ভুয়া খবর কিংবা গুজবের বিরুদ্ধে সাধারণত নজরদারি করে পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এসব সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরা সবসময় দাবি করেন, ভুয়া খবর নিশ্চিত হবার পরেই তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে বলেন, এপ্রিল মাসের শুরুতে তার মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় লোক সমাগম নিয়ে তিনি নিজেও ফেসবুকে অবমাননার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, অন্য এক ব্যক্তির জানাজার ছবি তার মায়ের জানাজার ছবি হিসেবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।", "doc2": "Actuellement, 33 des 47 pays d'Afrique subsaharienne disposent d'installations de test, contre deux seulement en janvier Il y a eu relativement peu de cas confirmés de ce virus en Afrique jusqu'à présent, mais les autorités de certains pays du continent doivent encore faire face à une vague de désinformation. 1 - Non, vous n'avez pas besoin de vous raser la barbe pour vous protéger contre le virus Un vieux graphique créé par les autorités sanitaires américaines sur les poils du visage et les masques respirateurs a été utilisé à tort pour suggérer aux hommes de se raser la barbe pour éviter d'attraper le coronavirus. Le titre du journal nigérian Punch disait \"pour être à l'abri du coronavirus, rasez votre barbe\", avertit le CDC. L'image du Centre américain de contrôle des maladies (CDC) montre des dizaines d'exemples de poils sur le visage et ce qu'il faut éviter lorsqu'on porte un masque respiratoire. Les barbes telles que les moustaches latérales et le Zappa sont approuvées, mais le Garibaldi et le French Fork peuvent interférer avec la valve et empêcher le bon fonctionnement du respirateur. Pour en savoir plus sur le coronavirus Le graphisme est authentique - mais il a été créé en 2017 (bien avant l'épidémie de coronavirus) pour les travailleurs qui portent des respirateurs bien ajustés. Contrairement à ce qui a été rapporté, le CDC ne l'a pas publié récemment et il ne recommande pas aux gens de se raser la barbe. Des titres similaires sont apparus dans d'autres pays, générant des milliers d'actions. L'agence de presse australienne 7News a postée sur Twitter : \"Comment votre barbe peut sans le savoir augmenter votre risque de coronavirus\". Les conseils de santé actuels sont que si les masques sont utiles au personnel médical des hôpitaux, \"il y a très peu de preuves d'un bénéfice généralisé pour les membres du public\". 2 - Un prédicateur nigérian lutte contre le coronavirus Un prédicateur évangélique qui prétend pouvoir guérir le virus a également fait l'objet d'une fake news. Des allégations sur David Kingleo Elijah, de l'église du Mont Glorieux de la Possibilité, ont commencé à se répandre en ligne après qu'une vidéo de lui disant qu'il se rendrait en Chine pour \"détruire\" le virus ait été mise en ligne sur YouTube et partagée sur d'autres plateformes. \"Je vais prophétiquement détruire le coronavirus. Je vais en Chine, je veux détruire le coronavirus\", dit-il dans la vidéo. Quelques jours plus tard, des informations sont apparues sur des blogs, alléguant qu'il avait voyagé en Chine mais avait été admis à l'hôpital après avoir contracté le virus. Les blogs font référence au pasteur sous un autre nom - Elija Emeka Chibuke. La photo utilisée pour le montrer à l'hôpital est en fait une photo d'Adeshina Adesanya, un acteur nigérian connu sous le nom de Pasteur Ajidara, qui est mort à l'hôpital en 2017. 3 - Faux posts sur un chauffeur de taxi Une histoire sur le chauffeur nigérian d'un homme atteint d'un coronavirus a été publiée sur les médias sociaux et partagée par les utilisateurs de WhatsApp - mais elle est fausse. Selon le message, le chauffeur de taxi a conduit un \"homme blanc\" diagnostiqué avec un coronavirus à un endroit qui a été mis en quarantaine. Le gouvernement de l'État d'Ogun a alors dit au chauffeur d'aller à l'hôpital. On a prétendu que le chauffeur avait alors été testé positif au coronavirus - mais il s'est échappé de l'hôpital et a menacé de propager le virus à moins que sa famille ne soit payée 100 millions de nairas (274 000 dollars). L'information a été rejetée par les autorités. Le gouvernement de l'État d'Ogun a rejeté cette prétendue \"demande de rançon\" dans une déclaration, affirmant qu'aucun patient ne s'était échappé du centre d'isolement. Le post original est apparu sur un faux compte du réseau privé Africa Independent Television (AIT), qui a publié une déclaration disant que la page n'était pas sa page Facebook officielle. Il comprenait une photo du chauffeur et le nommait Adewale Isaac Olorogun. Cependant, exactement la même photo est apparue dans un article de Buzzfeed sur la Libye et sous un nom complètement différent - Jude Ikuenobe. M. Ikuenobe a indiqué à Yemisi Adegoke de la BBC qu'il avait été choqué d'apprendre qu'il avait été désigné dans des posts et qu'il avait été bouleversé par certains des commentaires qui contenaient des menaces violentes à son encontre. \"Je ne me déplace plus tout seul. Depuis que le message est devenu viral, il n'a pas été facile pour moi de faire face à la situation\". Le premier cas de coronavirus confirmé au Nigeria et en Afrique subsaharienne est celui d'un Italien qui s'est envolé pour Lagos le 25 février. Les autorités affirment avoir contacté une centaine de personnes qui auraient pu être en contact avec lui. 4 - Une session de formation au Kenya suscite l'inquiétude Au Kenya, le gouvernement a dû publier une déclaration dénonçant les \"fausses nouvelles\" sur le coronavirus, qui comprend un enregistrement audio, diffusé sur WhatsApp, prétendant être un point de presse officiel sur le virus. L'enregistrement indique qu'il y a eu 63 cas dans le pays, ce qui n'est pas vrai. Il n'y a actuellement aucun cas confirmé au Kenya. Le ministère de la santé a déclaré qu'il avait participé à un exercice de formation en communication mais n'a pas expliqué comment il avait été rendu public. En vertu d'une loi existante, les Kenyans risquent une amende de 50 000 dollars ou une peine de deux ans de prison pour avoir publié ou partagé de fausses nouvelles sur une épidémie. 5 - Les prétendus médicaments Au Nigeria, un prédicateur a posté une vidéo et une affiche affirmant que la soupe au poivre est un remède contre le coronavirus. Cette affirmation a également été diffusée sur WhatsApp. Il n'existe pas de remède ou de traitement spécifique pour le coronavirus et l'allégation donne peu de détails sur les propriétés médicinales de la soupe au poivre - un plat traditionnel nigérian épicé. L'OMS affirme que l'épidémie a provoqué une \"infodémie\" d'informations fausses et trompeuses. Au Cap-Vert, la minuscule nation lusophone d'Afrique de l'Ouest, un post a été diffusé sur les médias sociaux affirmant qu'un médecin brésilien avait recommandé le thé au fenouil comme remède contre le coronavirus. Cela a provoqué une ruée vers cette herbe sur les marchés locaux, a rapporté l'AFP. Le ministère brésilien de la santé a averti les gens de ne pas partager un article suggérant le fenouil comme remède contre le coronavirus. L'Organisation mondiale de la santé affirme que le lavage des mains complet et régulier est crucial dans la lutte pour éviter l'infection."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52896083", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53208883", "doc1": "ভারতে মুসলিমদের জীবন বিপন্ন, এই আওয়াজ এখন জোরেশোরে উঠতে শুরু করেছে ঠিক সেই আদলে ভারতেরও বহু অ্যাক্টিভিস্ট, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী এখন আওয়াজ তুলছেন 'মুসলিম লাইভস ম্যাটার' – অর্থাৎ মুসলিমদের জীবনেরও দাম আছে। ভারতে গত কয়েক বছরে মুসলিমরা যেভাবে বারবার হামলা ও গণপিটুনির শিকার হয়েছেন, সে কারণেই এই ডাক এখন প্রাসঙ্গিক বলে তাদের বক্তব্য – যদিও এর ফলে তাদের ভারতের দক্ষিণপন্থী ও জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড এবং বছরপাঁচেক আগে ভারতে দিল্লির কাছে দাদরিতে মহম্মদ আখলাক যেভাবে মারা গেছেন – তার মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে হয়তো কোনও মিল নেই। কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকজন নামীদামী অ্যাক্টিভিস্ট মনে করছেন এই দুটো হত্যায় কিছুটা সাদৃশ্��� আছেও। তারা বলছেন, জর্জ ফ্লয়েড যেমন প্রকাশ্য পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছেন, তেমনি ভারতেও পুলিশ ও প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতে মুসলিমদের তুচ্ছ অজুহাতে পিটিয়ে মারা হচ্ছে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর ঠিক এই জন্যই ভারতের প্রেক্ষাপটে তারা এখন আওয়াজ তুলছেন \"মুসলিম লাইভস ম্যাটার\"। কেন ভারতে মুসলিমরা বিপদের মুখে বিফ রাখার অভিযোগে পিটিয়ে মারা মহম্মদ আখলাকের পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা সাংবাদিক রানা আয়ুবের কথায়, \"যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম আমলে বিফ খাওয়ার জন্য বা অন্য ধর্মের মেয়েদের বিয়ে করার অপরাধে মুসলিমদের পিটিয়ে মারা হয়েছে, তখন থেকেই এর শুরু।\" \"দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই তারা কাশ্মীরের বিশেষ স্বীকৃতি কেড়েছেন, ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় বিশাল মন্দির বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এবং প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত দিচ্ছেন – শুধু মুসলিমদের ছাড়া।\" \"হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর সব আয়োজন সম্পূর্ণ – আর সেখানে মুসলিমদের জানেপ্রাণে বাঁচানোর দাবি তো উঠবেই, কারণ তারা এর মধ্যেই দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত!\" সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় অধ্যাপক অশোক সোয়েইন আরও এক ধাপ এগিয়ে টুইট করেছেন, ভারতেও 'মুসলিমদের বিচার-বহির্ভূত হত্যা' ঠেকাতে আমেরিকার ধাঁচে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। দিল্লিতে সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণানের মতো আরও অনেকেই একই রকম দাবি তুলছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারাও যথারীতি তাদের পাল্টা আক্রমণ করছেন, ভারতের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী টিভি চ্যানেলেও এ জন্য ওই অ্যাক্টিভিস্টদের তুলোধুনা করা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী লেখক ও বিজ্ঞানী আনন্দ রঙ্গনাথনের কথায়, \"এই সব ভন্ড ও ফেক নিউজের কারবারিরা গত ছবছর ধরে ভারতে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল মোদী সরকারকে আরও অন্তত চার বছর তাদের সহ্য করতেই হবে।\" ভারতের নানা প্রান্তে এই ধরনের 'গোরক্ষক বাহিনী' মুসলিমদের ওপর অজস্র হামলা চালিয়েছে \"এরা ইসলামী জঙ্গীবাদ ও মাওবাদের হযে নানা সাফাই দেন, কিন্তু কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হিন্দু পন্ডিতদের জন্য তাদের প্রাণ কাঁদে না।\" \"এই সব শহুরে বা 'আরবান নকশাল'রা এখন বর্বর নকশালে পরিণত হয়েছেন – এবং তাদের খেলাটা মানুষ কিন্তু ধরে ফেলেছে\", বলছিলেন ড: রঙ্গনাথন। 'প্রতিবাদটা ���গেই হওয়া উচিত ছিল' কলকাতায় সমাজতাত্ত্বিক ও অধ্যাপক শাওনি শবনম আবার মনে করেন, ভারতে মুসলিমদের জীবন বিপন্ন – এটা কোনও নতুন কথা নয়। কিন্তু মুসলিমদের জীবনেরও দাম আছে, হ্যাশট্যাগের মধ্যে দিয়ে সেই উপলব্ধিটা আসতে আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল, সেটাই তাঁর মতে বরং দু:খের। ড: শবনম বিবিসিকে বলছিলেন, \"এই প্রতিবাদ তো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যে সরকার এখন দেশের ক্ষমতায়, তারা হয়তো দ্বিতীয়বার জিতে আসতেই পারত না যদি এই সচেতনতা আমাদের আগে আসত।\" আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে 'শত্রু সম্পত্তি' নিলামে তুলছে ভারত সরকার দিল্লিতে যেভাবে নড়ে গেছে হিন্দু-মুসলিম বিশ্বাসের ভিত নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম \"আমেরিকাতে এখন প্রতিবাদ হচ্ছে বলেই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের কথাটা এখন বলব, এই যুক্তিটা আমার ঠিক পছন্দ নয়।\" \"ভারতে মুসলিমদের লাইফ যে ম্যাটার করছিল না এবং তাদের জীবনের দাম শূন্যে এসে ঠেকেছিল, সেটা কি আমরা অনেক আগেই খেয়াল করিনি? ফলে আমার প্রশ্ন হল, এতদিন পরে কেন এই আন্দোলন?\" অধ্যাপক অশোক সোয়েনের টুইট: ড: শবনম অবশ্য সেই সঙ্গেই বলছেন অনেক দেরিতে এলেও এই আওয়াজকে তিনি স্বাগতই জানাবেন – কারণ এটার ভীষণ দরকার আছে। ভারতে অনেক পর্যবেক্ষক আবার পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন আমেরিকা ও ভারতের বাস্তবতা ও ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা – এবং একটা দেশের জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবাদের সঙ্গে অন্য দেশের ধর্মীয় বিভাজন ও অসহিষ্ণুতার তুলনা টানা যায় না। সাংবাদিক রানা আয়ুবের টুইট: সেটা হয়তো আংশিকভাবে ঠিক, কিন্তু তারপরও আমেরিকায় উত্তাল প্রতিবাদের এই সময়ে ভারতেও মুসলিমদের বাঁচার দাবি যে নতুন করে উঠতে শুরু করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।", "doc2": "Denis Adide élève ses trois enfants métis à Londres \"Pourquoi faut-il dire ça?\" était la question que la fille de cinq ans de Denis Adide a posée lorsqu'elle a aperçu une bannière Black Lives Matter. \"C'est la réalité d'un enfant noir, c'est la réalité pour moi en tant que père noir\", explique Denis. \"On n'obtient pas le luxe de l'innocence de l'enfance aussi longtemps que les autres.\" \"Je sais qu'il y a des enfants qui s'engagent dans l'histoire des Noirs pour la première fois de leur vie\", dit-il. Il dit que même si ses trois enfants, tous âgés de moins de cinq ans, sont trop jeunes pour avoir une discussion directe sur l'affaire George Floyd, il sait que de nombreux autres enfants noirs en ont été affectés. Il cite la fille de son amie, qui en larmes, se demandait si elle n'était pas en sécurité à cause de sa peau et si elle devait ou non s'inquiéter pour sa vie. \"C'est peut-être un réveil pour les enfants - mais malheureusement stressant, vraiment profondément stressant, car c'est une expérience corporelle. Vous ne pouvez pas vous désincarner pour y échapper.\" Denis, originaire de l'ouest de Londres, explique qu'équiper ses enfants de ce que c'est que de grandir au Royaume-Uni avec une peau plus foncée fait partie de son travail en tant que parent. Il dit qu'il a été arrêté et fouillé à plusieurs reprises par la police, à la fois en tant qu'adulte et enfant, et dit qu'il devra \"malheureusement\" préparer son fils de quatre ans au même traitement. Lire aussi Il s'attend à ce que différentes conversations surgissent avec ses filles, en particulier autour de l'image corporelle en raison d'un manque de représentation dans la société. Sa fille aînée était \"ravie\", dit-il, lorsqu'elle a été enseignée un jour par un professeur de gymnastique à l'école, qui était également d'origine mixte. Elle a dit à son père, sans invite, \"l'enseignant avait aujourd'hui des cheveux comme les miens et une peau qui ressemblait aux miens\". La fille de Georgena Clarke voulait savoir pourquoi elle n'avait pas les cheveux blonds comme la princesse dans Frozen Georgena Clarke de Cheshire dit qu'elle a fait face à des conversations similaires avec ses jumeaux de sept ans - une fille et un garçon. Le problème de la couleur de la peau a été soulevé pour la première fois par sa fille. Elle dit que le manque de diversité dans sa région a amené sa fille à traverser une phase où elle saluait chaque personne noire dans la rue car \"elle les voyait si rarement, elle pensait que tous les Noirs étaient liés à nous\". Elle était la seule enfant noire de sa classe et un jour, à l'âge de cinq ans, elle a refusé de sortir de la voiture quand ils sont allés à l'école, en disant \"maman, je ne veux pas être la seule à être différente\". \"J'étais absolument abasourdi\", explique Georgena. \"Je ne savais pas quoi dire à ce moment-là, et je savais alors que je n'avais pas fait un assez bon travail. \"J'avais déjà dit\" c'est parce que tu es spéciale, tu es la seule qui est brune et tu es juste différente de tout le monde \", mais ce n'était pas assez bon pour elle maintenant.\" Georgena a expliqué à sa fille que les parents de sa maman étaient africains et que les parents de son papa venaient des Antilles, et tout le monde dans ces pays \"nous ressemble\". Elle a utilisé des vidéos YouTube pour le prouver. \"Je n'ai jamais vu quelqu'un saisir un concept à tel point que toutes les personnes qu'elle a ensuite rencontrées ont dû lui dire d'où elle venait. Elle en était vraiment fière.\" Georgena dit qu'elle accepte que leur innocence devra prendre fin \"à un moment ou à un autre\", mais elle veut qu'ils restent des enfants aussi longtemps que possible. \"Je veux qu'ils soient fiers du fait qu'ils soient noirs et qu'ils ne ressentent pas non plus que leur différence soit perçue négativement\", dit-elle. \"Si je leur parle du racisme et que je leur fais comprendre que certaines personnes ne les aimeront pas à cause de leur différence, cela pourrait affecter leur estime de soi.\" Marvyn Harrison a un garçon de 4 ans et une fille de 2 ans À Hackney, dans l'est de Londres, Marvyn Harrison, père de deux enfants, s'inquiète de la façon dont son fils de quatre ans sera perçu lorsqu'il entrera à l'école à l'automne. \"Mon fils est très confiant. C'est un grand défi pour un homme noir. Ma compréhension de ce à quoi ressemble la confiance à quelqu'un qui n'est pas noir, c'est qu'elle peut sembler intimidante, dominatrice ou désobéissante.\" Il dit qu'il essaie d'enseigner à son fils un code de conduite différent lorsqu'il commencera sa nouvelle école. \"J'adore mes cheveux, j'aime ma peau\" Marvyn, qui a fondé le groupe en ligne Dope Black Dads, a été marqué par sa propre expérience de l'école, où il sentait que sa couleur de peau signifiait qu'il était injustement isolé par les enseignants, ainsi que d'avoir reçu des messages pour des aspirations de vie inférieures. \"Très souvent, ce qui se passe avec les enfants noirs, c'est qu'ils commencent à se demander\" pourquoi suis-je traité différemment - j'ai l'impression de parler autant que Sue qui est assise à côté de moi mais j'ai en quelque sorte plus de problèmes \". Ensuite, vous commencez à vivre dans votre tête et vous commencez à régresser à l'école \". Il est déterminé à ne pas laisser ses enfants considérer le noir comme quelque chose de négatif et a appris à son fils à faire des affirmations positives quotidiennes. \"Il se regarde dans le miroir et dit\" j'aime mes cheveux, j'aime ma peau, j'aime mon saut, ma course, je suis gentil \". Il dit toutes ces choses tous les jours donc c'est ce qu'il a en tête s'il n'est jamais contesté.\" \"Il est important de les préparer le plus tôt possible - faites-le simplement au moment où ils peuvent comprendre.\" Comment parler du racisme aux enfants ? Un enfant participe à la manifestation de Black Lives Matter à Manchester au début du mois L'UNICEF, l'agence des Nations Unies pour l'enfance, donnent ces conseils Moins de cinq ans: · Utilisez un langage adapté à l'âge et facile à comprendre. Reconnaître et célébrer les différences · Soyez ouvert - indiquez clairement que vous êtes ouverts aux questions de vos enfants. S'ils signalent des personnes qui ont l'air différentes, évitez de les faire taire ou ils commenceront à croire que c'est un sujet tabou · Utilisez l'équité - c'est un concept que les cinq ans ont tendance à bien comprendre. Parler du racisme comme injuste Six à 11 ans: · Ils sont également de plus en plus exposés à des informations qu'ils peuvent trouver difficiles à traiter. Être curieux. Écouter et poser des questions est la première étape · Discutez des médias ensemble - les réseaux sociaux et Internet peuvent être l'une des principales sources d'information de vos enfants · Parlez ouvertement - des discussions honnêtes et ouvertes sur le racisme, la diversité et l'inclusivité renforcent la confiance. Cela les encourage à venir vers vous avec des questions et des inquiétudes 12+ ans: · Les adolescents sont capables de comprendre plus clairement les concepts abstraits et d'exprimer leurs opinions. Découvrez ce qu'ils savent. Qu'ont-ils entendu aux infos, à l'école, chez des amis? · Poser des questions sur ce qu'ils pensent de choses telles que les événements d'actualité et introduire différentes perspectives pour aider à élargir leur compréhension · Encourager l'action Black Lives Matter - George Floyd : ces discours devenus viraux"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45714070", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50946952", "doc1": "অন্ত্রকে মানবদেহের \"দ্বিতীয় মস্তিষ্ক\" হিসেবে ডাকা হয়। সম্ভবত \"অন্ত্র\" আপনার প্রথম উত্তর ছিল না। কিন্তু সত্যি হচ্ছে, আমাদের অন্ত্র লাখো নিউরনের সঙ্গে সংযুক্ত, যে কারণে অন্ত্রকে মানবদেহের \"দ্বিতীয় মস্তিষ্ক\" হিসেবে ডাকা হয়। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কাজ শুধুমাত্র খাবার দাবার শোষণ করা নয়, বরং এর-চাইতেও আরও বেশি কিছু। আমাদের শরীরে যে পরিমাণ রোগজীবাণু রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নির্ভর করে কিনা সে বিষয়ে এখনও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার জেনে নেয়া যাক অন্ত্র সংক্রান্ত কিছু বিস্ময়কর তথ্য: ১. অন্ত্রের রয়েছে স্বাধীন স্নায়ুতন্ত্র: পুষ্টিবিদ ডা. মেগান রসি বলেছেন, \" শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের তুলনায় আমাদের অন্ত্র স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এটি মস্তিষ্কের কোন কোন সাহায্য ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। \" এবিষয়ে আরো পড়তে পারেন: কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন রোজ কতটা খাবার খাওয়া উচিত? অন্ত্রের রয়েছে স্বাধীন স্নায়ুতন্ত্র। আরও পড়তে পারেন: কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন কীভাবে বাঁধাকপি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে পিতামাতার ধূমপানেও কি আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে ডা. মেগান রসি একাধারে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এবং অন্ত্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি বইও লিখেছেন। অন্ত্রের এই স্বাধীনভাবে কাজ করাকে অভ্যন্তরীণ স্নায়ুতন্ত্র (ইএনএস) বলা হয়, যেটা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের (সিএনএস) একটি শাখা। যার কাজ শুধুমাত্র পরিপাক��ন্ত্রের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এই পুরো ব্যবস্থাটা নিউরনের সমন্বয়ে তৈরি একটি নেটওয়ার্কের মতো কাজ করে। যেটা পাকস্থলী ও হজম-ক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত। অন্ত্রের এই অভ্যন্তরীণ স্নায়ুতন্ত্র মূলত সিম্প্যথেটিক ও প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ২. আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অন্ত্রের ভূমিকা: ডাঃ রসি'র মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পেছনে অন্ত্রের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা আমাদের রোগ প্রতিরোধক কোষের ৭০% অন্ত্রের ভিতরে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাগুলো, সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খালেদা বা তারেক প্রশ্ন 'নির্বাচনী ঐক্যের শর্ত নয়' চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে ‘একটা বই নিয়ে এত ভয় কেন?' বিচারপতি সিনহা আপনার নিউরন শুধু মস্তিষ্কে নেই। অন্ত্রেও রয়েছে। ৩. কতোবার টয়লেট হওয়া স্বাভাবিক? আমাদের শরীরের বর্জ্য শুধুমাত্র খাদ্যের অবশিষ্টাংশ নয়। বরং এর ৫০% জুড়ে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া। এরমধ্যে এমন সব ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যেটা কিনা আমাদের শরীরের জন্য আসলেই উপকারী। এ কারণে, যাদের অন্ত্রে \"খারাপ\" ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিকাল ট্রান্সপ্লান্ট একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে। এই চিকিৎসা স্টুল ট্রান্সপ্লান্ট বা মল প্রতিস্থাপন হিসেবেও পরিচিত। এটি এমন এক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া যেখানে একজন সুস্থ মানুষের শরীর থেকে মলের ব্যাকটেরিয়া অসুস্থ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে ডাঃ রসির কাছে জানতে চাওয়া হয় আমাদের দিনে কয়বার টয়লেটে যাওয়া উচিত?। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনবার থেকে শুরু করে সপ্তাহে তিনবার টয়লেট হওয়া গবেষণায় স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। ৪. অন্ত্র সুস্থতায় খাদ্য নির্বাচন: আমাদের অন্ত্রে রয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন জীবাণুর বসতি। এই জীবাণুগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ কেননা তারা নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিকর উপাদান হজম করতে সাহায্য করে। অন্ত্র ঠিক রাখতে খেতে হবে নানা ধরণের খাবার। প্রতিটি মাইক্রোবায়াল গ্রুপ একেক ধরণের খাবারের উপর ক���জ করে। তাই বিভিন্ন বৈচিত্র্যের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা আমাদের আরও সুস্থ হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। \"আমি বলতে চাই যে মাইক্রোবসরা আমাদের অভ্যন্তরীণ পোষা প্রাণীর মতো, আপনি যার যত্ন নিতে এবং লালন পালন করতে চান,\" বলেছেন ডাঃ রসি। যারা সবসময় একই ধরণে খাবার খায় তাদের অন্ত্রের জীবাণুগুলো এতোটা সক্রিয় বা শক্তিশালী থাকেনা। ৫. অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আপনার মেজাজ মর্জি: ডাঃ রসি বলেছেন যে আপনার যদি অন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আপনি কতোটা মানসিক চাপে আছেন সেটা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন: \"ডাক্তারি অনুশীলনে থাকাকালে আমি সবসময় আমার রোগীদের দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ধ্যান করার পরামর্শ দিতাম। চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ধ্যান করায় এক পর্যায়ে এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হতো। এবং এতে তাদের অন্ত্রের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়। \"তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।\" ভাল ব্যাটেরিয়াযুক্ত খাবারের উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের অন্ত্রের সঙ্গে মেজাজ যুক্ত থাকার পেছনে একটি সাধারণ কারণ হল, আমাদের পরিপাকতন্ত্রে আনুমানিক ৮০% থেকে ৯০% সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়। সেরোটোনিন এক ধরণের রাসায়নিক বার্তাবাহক যার সঙ্গে আমাদের পরিপাক ক্রিয়া থেকে শুরু করে মানসিক রোগ সংক্রান্ত শরীরের নানা কার্যক্রম জড়িত। এক কথায় সেরোটোনিনের নি:সরণের ওপর নির্ভর করে আমাদের মেজাজ ভাল থাকা, না থাকা। দীর্ঘমেয়াদী চাপ শরীরে সেরোটোনিন নি:সরণের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে যা আমাদের মন মেজাজ, উদ্বেগের মাত্রা এবং সুখের মতো মানসিক অবস্থা প্রভাবিত করতে পারে। পশু এবং মানুষের ওপর আগের গবেষণাগুলো থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, বিষণ্ণতাসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর অন্ত্রে মাইক্রোবায়াল গোলযোগ পাওয়া গেছে। সাইকোবায়োটিক্সের ওপর নতুন একটি গবেষণা চলছে। যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সুস্থ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট ধরণের খাবারের প্রতি ভয় শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ৬. বিশ্বাসের নেতিবাচক প্রভাব: যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে কয়েক ধরণের খাবার আপনার জন্য খারাপ, তাহলে আপনার এ সংক্রান্ত নেতিবাচক উপসর্গ দেখা দেবে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ধরণের খাবার খেতে ভয় পাওয়া শুরু করেন তবে সেটি খাওয়ার সময় আপনার উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। কেননা কিছু মানুষের পাকস্থলী বেশ সংবেদনশীল। ডাঃ রসি বলেন, \"আমার ক্লিনিকে আমি প্রতিনিয়ত দেখেছি যে একটা বিশ্বাস কিভাবে অন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে\"। অনেকে বিশ্বাস করে যে গ্লুটেন বা ল্যাকটোস তাদের জন্য খারাপ হবে, বাস্তবে তাদের ওইসব খাবারে এলার্জি বা অসহিষ্ণুতা না থাকলেও শুধুমাত্র বিশ্বাসের কারণে সেগুলো খাওয়ার পরে তারা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ৭. আপনি চাইলেই পারেন পরিপাক স্বাস্থ্য উন্নত করতে: ডঃ রসি কিছু অভ্যাস তালিকাভুক্ত করেছেন। যা পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য মেনে চলা প্রয়োজন। সেগুলো হল:", "doc2": "Notre intestin \"n'a pas besoin du cerveau pour lui dire quoi faire\" Peut-être que l'intestin n'était pas la première réponse en tête. Mais nos intestins sont tapissés de millions de neurones, c'est pourquoi on l'a surnommé notre \"deuxième cerveau\". Notre système digestif a des fonctions qui vont au-delà de la transformation des aliments que nous mangeons. Lire aussi : Les populations de microbes qui y vivent peuvent affecter notre bien-être. Les scientifiques cherchent à savoir si l'amélioration de la santé de notre intestin peut contribuer à notre système immunitaire et à lutter contre les troubles de santé mentale. Voici quelques faits surprenants sur notre intestin : 1. C'est un système nerveux autonome Des billions de bactéries vivent dans nos intestins et nous aident à digérer les aliments que nous mangeons \"Contrairement à tout autre organe de notre corps, notre intestin peut fonctionner tout seul. Il est autonome pour prendre ses propres décisions et n'a pas besoin du cerveau pour lui dire quoi faire\", explique le Dr Megan Rossi, diététiste et titulaire d'un doctorat en santé intestinale, auteur de The Gut Health Doctor. Son esprit indépendant s'appelle le système nerveux entérique (SNE), une subdivision du système nerveux central (SNC) responsable uniquement du comportement gastro-intestinal. Lire aussi : Le système ressemble à un réseau de neurones en forme de maille qui tapisse l'estomac et le système digestif. Le SNE communique normalement avec le SNC par l'intermédiaire des systèmes nerveux sympathique et parasympathique. 2. Environ 70 % de nos cellules immunitaires vivent dans nos intestins Vos neurones ne sont pas seulement dans votre cerveau Selon le Dr Rossi, c'est pourquoi la santé de nos intestins est cruciale pour renforcer notre immunité contre les maladies. Des recherches récentes suggèrent que le fait d'avoir des problèmes gastro-intestinaux augmente la probabilité d'être vulnérable à des maladies courantes - comme la grippe, dit-elle. 3. 50% de nos selles sont des bactéries Nos déchets corporels ne sont pas seulement des restes de nourriture. Beaucoup de bactéries qui s'y trouvent sont en fait bonnes pour notre corps. Pour cette raison, la transplantation fécale peut être un traitement vital pour les personnes ayant une surcroissance de \"mauvaises\" bactéries dans leurs intestins. Lire aussi : Le traitement, également connu sous le nom de transplantation de selles, est le processus de transplantation de bactéries fécales d'un individu sain à un receveur. Puisque nous étions sur le sujet, nous avons demandé au Dr Rossi combien de fois par jour nous devrions aller aux toilettes. Elle nous a répondu que, selon les recherches, entre trois fois par jour et trois fois par semaine, c'est normal. 4. La variété de la nourriture améliore la santé des microbes de votre intestin Les bactéries dans votre intestin aiment les aliments différents et une alimentation variée améliorera votre santé et votre humeur Notre intestin abrite des milliards de microbes. Ils sont importants car ils nous aident à digérer certains nutriments. Chaque groupe microbien se développe à partir d'aliments différents, de sorte qu'une alimentation variée améliore la santé de l'intestin, ce qui est associé à un bien-être accru. Lire aussi : \"J'aime dire que les microbes sont comme nos petits animaux de compagnie internes, dont on veut prendre soin et qu'on veut nourrir\", dit le Dr Rossi. Les gens qui mangent toujours les mêmes choses ont une communauté de microbes intestinaux plus pauvre. 5. Vos intestins sont liés à votre humeur Selon le Dr Rossi, si vous avez des problèmes intestinaux, il peut être bon d'examiner à quel point vous êtes stressé. \"Dans ma pratique, je recommande toujours la médiation à mes patients pendant 15 ou 20 minutes par jour. Après qu'ils l'aient fait tous les jours pendant quatre semaines, et qu'ils en aient fait une habitude, je remarque que les symptômes s'améliorent juste avec ça\". Les bienfaits d'une alimentation riche en \"bonnes\" bactéries intestinales sont un domaine de recherche naissant \"Déstresser est vraiment, vraiment important\", dit-elle. Un facteur qui relie notre intestin et notre humeur générale est le fait qu'on estime que 80 à 90 % de la sérotonine est fabriquée dans le tube digestif. La sérotonine est un messager chimique qui affecte diverses fonctions du corps, y compris le transit intestinal. Elle est également associée à des troubles psychiatriques. Lire aussi : Le stress prolongé peut diminuer les niveaux de sérotonine et affecter notre état émotionnel, y compris notre humeur, nos niveaux d'anxiété et notre bonheur. Des études antérieures sur les animaux et les humains ont permis de recueillir des preuves de divergences dans la communauté microbienne trouvée dans l'intestin des patients souffrant de dépression et d'autres problèmes de santé mentale. Un domaine de recherche naissant est la prescription de \"psychobiotiques\" : essentiellement un mélange de bactéries intestinales saines pour aider à améliorer la santé mentale. Si vous craignez certains aliments, vous pouvez en fait développer des symptômes si vous les mangez, dit le Dr Rossi 6. Si vous croyez fermement que certains types d'aliments sont mauvais pour vous, vous pourriez commencer à le ressentir Certaines personnes ont l'estomac sensible. Mais selon Dr Rossi, des études récentes ont suggéré que si vous commencez à redouter un type d'aliment spécifique, vous pourriez commencer à développer des symptômes si vous le mangez. \"Dans ma clinique, je vois constamment comment une croyance peut déclencher des problèmes intestinaux\", dit-elle. Beaucoup de gens croient que le glutose ou le lactose sera mauvais pour eux, même si en réalité ils n'y sont pas allergiques ou intolérants, ils peuvent éprouver des problèmes après avoir mangé ces aliments. Dr Doriane Moukoko : \"les cotons-tiges sont dangereux pour la santé auditive\" 7. Vous pouvez améliorer votre santé digestive Dr Rossi énumère quelques habitudes que vous pouvez adopter pour un intestin plus heureux: Regarder : Le sucre, cet ennemi caché de notre santé"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54648604", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54652336", "doc1": "ফরাসী স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে ফুটবলের রাজা পেলে। চার দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৭৭ সালে অবসর নেওয়ার পরেও সাবেক এই খেলোয়াড় সারা দুনিয়ায় এখনও সবচেয়ে পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিদের একজন। মূলত তিন তিনবার বিশ্বকাপ জয় করার জন্য পেলে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়- নারী কিম্বা পুরুষ- যিনি এতবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন। এছাড়াও তিনি তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ১,৩৬৩টি ম্যাচ খেলে মোট ১,২৮১টি গোল করেছেন যা বিশ্ব রেকর্ড। ফুটবল খেলায় পেলে যে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন সেটা মানুষের কল্পনার সীমাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল খেলাধুলার বাইরের জগতেও। ইতিহাসের বিখ্যাত এই ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কিছু গল্প আছে যা অনেকেই হয়তো এখনও শোনে নি। এখানে এরকম ১০টি গল্প ঘটনা তুলে ধরা হলো: ১. মাঠ থেকে বহিষ্কার রেফারি ভেলাকোয়েজ (ডানে) পেলেকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন ফাউল করার কারণে। ১৯৬৮ সালের ১৮ই জুন। কলাম্বিয���ার রাজধানী বোগোতায় খেলা হচ্ছিল পেলের ক্লাব সান্তোস এফসির সাথে কলাম্বিয়ান অলিম্পিক স্কোয়াডের। ওটা প্রীতি ম্যাচ ছিল। দর্শকে উপচে পড়ছিল স্টেডিয়াম। হঠাৎ করেই গ্যালারি থেকে দর্শকদের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ভেসে আসে যখন রেফারি গুইলেরমো ভেলাসকোয়েজ পেলেকে মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনও লাল কার্ডের প্রচলন ঘটেনি, সেটা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। কলাম্বিয়ার একজন ডিফেন্ডারকে ফাউল করা এবং রেফারির মতে ওই ফুটবলারকে অপমান করার কারণে পেলেকে মাঠ থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে মাঠের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সান্তোসের ফুটবলাররা উত্তেজিত হয়ে রেফারিকে ঘিরে ধরেন। ওই খেলার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায় রেফারি ভেলাসকোয়েজের চোখ কালো হয়ে আছে। সেসময় দর্শকরাও রেফারির ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। রেফারি ভেলাসকোয়েজ পরে ২০১০ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে সেসময় তাকে মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে বাঁশিটা লাইন্সম্যানকে দিতে বলা হয়েছিল। এর পরপরই পেলে আবার খেলায় ফিরে আসেন। ২. পেলে কি যুদ্ধ থামিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। পেলের সান্তোস এফসি ফুটবল ক্লাব ছিল ষাটের দশকে বিশ্বের জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর একটি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এই ক্লাবটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতো। এই খ্যাতির কারণে তারা বাড়তি কিছু সুবিধাও পেয়েছিল। এরকম একটি প্রীতি ম্যাচ ছিল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নাইজেরিয়ায়, ১৯৬৯ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। বেনিন সিটিতে অনুষ্ঠিত ওই খেলায় সান্তোস ২-১ গোলে স্থানীয় একাদশকে পরাজিত করে। নাইজেরিয়াতে তখন রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ চলছিল। দেশ থেকে বায়াফ্রা রাজ্যটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এই যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। ফুটবল ক্লাব সান্তোস এফসির ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন এমন একজন গবেষক গুইলহের্ম গুয়াশের মতে, এরকম একটি পরিস্থিতিতে নাইজেরিয়াতে খেলোয়াড়দের পাঠানোর ব্যাপারে ব্রাজিলের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল। সেকারণে বিবদমান পক্ষগুলো তখন যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়। তবে এই গল্পটির সত্যতা নিয়ে সম্প্রতি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এবং মজার ব্যাপার হলো ১৯৭৭ সালে পেলের যে আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় সেখানে এই ঘটনার কোন উল্লেখ ছিল না। তবে পেলের আরেকটি আত্���জীবনী, যা কীনা আরো ৩০ বছর পর প্রকাশিত হয়, সেখানে কিন্তু তিনি ওই \"যুদ্ধবিরতির\" কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন: \"এই প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য গৃহযুদ্ধ থামানো হবে বলে\" খেলোয়াড়দেরকে জানানো হয়েছিল। \"আমি জানি না এই ঘটনা পুরোপুরি সত্য কীনা, তবে নাইজেরিয়ানরা আমাদের নিশ্চিতভাবে জানিয়েছিলেন যে আমরা যখন ওখানে খেলতে যাবো তখন বায়াফ্রানরা সেখানে আক্রমণ করবে না,\" পেলে লিখেছেন। ৩. পেলের সঙ্গে দেখা করতে বিটলসের ব্যর্থ চেষ্টা বিটলসের ড্রামার রিঙ্গো স্টার। তারা সবাই মিলে পেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। পেলে নিউ ইয়র্ক কসমস ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে চলে যান। সেখানে ভাষা শেখার একটি স্কুলে তিনি ইংরেজি শিখতেন। কোন একদিন ক্লাসের ফাঁকে সংগীত গোষ্ঠী বিটলসের জন লেননের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। \"লেনন ওই স্কুলে যেত জাপানি ভাষা শিখতে,\" পেলে এই স্মৃতিকথা লিখেছেন ২০০৭ সালে। পেলে বলেছেন, জন লেনন তাকে বলেছেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ চলার সময় লেনন এবং বিটলসের অন্য শিল্পীরা হোটেলে গিয়ে ব্রাজিলের টিমের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেবার বিশ্বকাপ হয়েছিল ইংল্যান্ডে। পেলে লিখেছেন, সংগীত শিল্পীরা সেসময় তার ও দলের অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্রাজিলের ফুটবল এসোসিয়েশনের পরিচালকরা তার অনুমতি দেয়নি। ৪. কেন ইউরোপীয় ক্লাবে খেলেন নি ব্রাজিলে ১৮ বছর খেলার পর পেলে নিউ ইয়র্ক কসমস ক্লাবে খেলেছেন তিনটি মওসুম। আরো পড়তে পারেন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসি ঝড় - আলোচনা, গুঞ্জন আর মজার সব খবর জনপ্রিয় খেলা ফুটবল কী পাল্টে যাচ্ছে চিরতরে? হবিগঞ্জের হামজা যেভাবে ইংল্যান্ডে ফুটবল তারকা পেলের সমালোচকরা বলেন, কখনো ইউরোপীয় কোন ক্লাবের হয়ে না খেলার কারণে ব্রাজিলের এই ফুটবল তারকার জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল। ব্রাজিলের অন্যান্য অখ্যাত ও বিখ্যাত ফুটবলাররা বিদেশি ক্লাবে খেললেও, পেলের ক্যারিয়ারের সোনালী সময়ে তাকে বাইরে খেলতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পেলেকে নেওয়ার জন্য সান্তোস এফসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ থেকে শুরু করে এসি মিলানের মতো ক্লাবও। সেসময় ফুটবলাররা কোন ক্লাবে খেলবেন সেবিষয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ ছিল খুব কম। পেলেকে ব্রাজিলে রেখে দেওয়ার জন্য চাপ ছিল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও: ১��৬১ সালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জানিও কোয়াদ্রস পেলেকে \"জাতীয় সম্পদ\" হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে \"রপ্তানি করা যাবে না\" বলে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। ব্রাজিলের এই ফুটবলার পরে অবশ্য একটি বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। শুধুমাত্র ১৯৭৫ সালে। সেসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফুটবল ক্লাব নিউ ইয়র্ক কসমসে। ৫. ব্রাজিলের অধিনায়ক হয়েছিলেন ৫০ বছর বয়সে একবারই অধিনায়ক হয়েছিলেন পেলে এবং ৫০ বছর বয়সে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। পেলে তার পুরো ফুটবল ক্যারিয়ারে তার হাতে মাত্র একবারই অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। ক্লাব ও দেশের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করার জন্য তাকে যখনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটা তিনি সবসময় প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার ব্যতিক্রম হয় পেলের ৫০ বছর বয়সে। সেটা ছিল ১৯৯০ সালের ঘটনা, জাতীয় ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ১৯ বছর পরে। সেবছর ব্রাজিলের সাথে বাকি বিশ্বের একটি প্রীতি ম্যাচ হয়েছিল মিলানে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন পেলে। তার ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট তিনি মাঠে ছিলেন। ওই ম্যাচে ব্রাজিল ২-১ গোলে হেরে যায়। কিন্তু এই ম্যাচটি আরো একটি কারণে ব্রাজিলে আলোচিত হয়েছিল: ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের স্ট্রাইকার রিনাল্ডো পেলেকে একটি গোল উপহার দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেসময় পেলে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু রিনাল্ডো বল পেলেকে পাস না দিয়ে নিজেই পোস্টের বাইরে মেরেছিলেন। রিনাল্ডো পরে ২০১০ সালে ব্রাজিলের একটি ওয়েবসাইট গ্লোবো এসপোর্তেকে বলেছিলেন, \"এতে তিনি আমার ওপর খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।\" ৬. পেলেকে যখন \"অপহরণ\" করা হয় ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারানোর পর পেলেকে কাঁধে নিয়ে সমর্থকদের উল্লাস। সান্তোস এফসি ক্লাবের ফুটবলাররা ১৯৭২ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোতে খেলার ব্যাপারে খুশি ছিলেন না। \"সেসময় সেখানে বড় ধরনের অশান্তি চলছিল এবং আমরা রাস্তায় ট্যাঙ্ক চলতে দেখেছি,\" ২০১০ সালের ব্রাজিলের একটি পত্রিকা জিরো হোরাকে একথা বলেছেন ডিফেন্ডার ওবেরদান। \"খেলা শেষ করে সাথে সাথেই আমরা প্লেনে উঠে পড়বো এমন আশ্বাস পাওয়ার পরেই আমরা ওই ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছিলাম।\" কিন্তু খেলার ৪৩ মাথায় গোল করে বসেন পেলে। তখনই সবকিছু ���দলে যায়। খেলা শেষে পোর্ট অফ স্পেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে থাকা সমর্থকরা দৌড়ে মাঠের ভেতরে চলে আসে এবং পেলেকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যায়। সেখান থেকে পেলেকে উদ্ধার করে আনতে বেশ কিছু সময় লেগেছিল। ৭. সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সঙ্গে পেলে। ১৯৮০ সালে যখন 'এসকেপ টু ভিক্টরি' ছবির শুটিং শুরু হয় তখন চলচ্চিত্রাঙ্গনে খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন। এই ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ের নাৎসি একাদশ ও বন্দীদের মধ্যে একটি কাল্পনিক ফুটবল ম্যাচের গল্প তুলে ধরা হয়। ছবিটিতে পেলেও অভিনয় করেছেন। তার সাথে ছিলেন ববি মুরের মতো আরো কয়েকজন পেশাদার ও সাবেক ফুটবলারও। ওই খেলায় গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন। ছবির একটি দৃশ্যে পেলে অ্যাক্রোবেটিক বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন। এবং জানা যায় যে প্রথম শটেই তিনি এই কিকটি নিতে সফল হয়েছিলেন। সম্প্রতি পেলে ব্রাজিলের একটি ওয়েবসাইট ইউওএলকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে ওই সিনেমাতে স্ট্যালোনের একটি গোল দেওয়ার কথা ছিল। \"সিনেমার আসল যে স্ক্রিপ্ট, সেখানে স্ট্যালোন ছিলেন স্ট্রাইকার আর আমার গোলি হওয়ার কথা ছিল,\" বলেন পেলে। হাসতে হাসতে পেলে জানান, \"কিন্তু সিলভেস্টার স্ট্যালোন তো জীবনে একবারও বলে কিক করেন নি।\" ৮. পেলে কিন্তু ভাল গোলরক্ষক গোলরক্ষকও হিসেবেও খেলেছেন পেলে। পেলে যদি 'এসকেপ টু ভিক্টরি' ছবিতে গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি কিন্তু দর্শকদের মোটেও হতাশ করতেন না। বাস্তব জীবনেও তিনি ক্লাব ও দেশের বিকল্প গোলরক্ষক ছিলেন। আসল গোলকিপার আহত হলে তার জায়গায় তিনি নামতেন গোল ঠেকাতে। পুরো ক্যারিয়ারে পেলে সান্তোস এফসি ক্লাবের হয়ে চারবার গোলরক্ষকের গ্লাভস পরেছিলেন। ১৯৬৪ সালে ব্রাজিলিয়ান কাপের সেমিফাইনালেও তাকে গোলকিপার হতে হয়েছিল। তার টিম সবকটি খেলায় জয়লাভ করেছিল এবং পেলে একটি গোলও খাননি। ৯. মাত্র একজনই পেলে... গানার বিখ্যাত ফুটবলার আবেদি পেলে। ভক্তরা আনন্দের সঙ্গে গান ধরতে পারে \"আছে মাত্র একজনই পেলে!\" কিন্তু আসলে এটি আক্ষরিকভাবে পুরোপুরি সত্য নয়। তার জনপ্রিয়তার কারণে সারা বিশ্বে মাঠে ও মাঠের বাইরে এই নামের আরো অনেককেই পাওয়া যায়। আফ্রিকার বিখ্যাত ফুটবলারদের একজন আ���েদি এইও-র নাম হয়েছিল আবেদি পেলে। তিনি গানা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। কেপ ভার্দের ডিফেন্ডার পেদ্রো মন্টেইরো যিনি ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে যোগ দিয়েছিলেন, তিনিও পেলে নামে পরিচিত ছিলেন। এই ডাকনামটি তিনি পেয়েছিলেন তার শৈশবে। কিন্তু ফুটবলার পেলের কী প্রভাব পড়েছিল ব্রাজিলের সমাজে সেটা বোঝা যায় পেলের আসল নাম এডসন থেকে। ব্রাজিলের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ভূগোল ও পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউটের হিসেবে প্রচুর শিশুর নাম রাখা হয়েছে এডসন। তারা বলছে, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে ব্রাজিলে ৪৩ হাজার ৫শ ১১ জনের নাম ছিল এডসন। কিন্তু এর দুই দশক পর, পেলে যখন এক হাজারেরও বেশি গোল করেন এবং তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন, তখন এই নামের মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি। ১০. ফুটবলের রাজা কি প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন? ব্রাজিলের ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন পেলে। পেলে ১৯৯০ সালে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ব্রাজিলে ১৯৯৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই। ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর তিনি ব্রাজিলের ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সেসময় তার নেতৃত্বে কিছু আইন তৈরি হয়েছিল যাতে পেশাদার ফুটবলারদেরকে ক্লাবের সঙ্গে দর কষাকষির ব্যাপারে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যা তার নিজের প্রজন্মের ফুটবলারদের ছিল না।", "doc2": "Le roi et son héritier ? Pelé avec un autre homme qui a gagné la Coupe du monde à l'adolescence, l'attaquant français Kylian Mbappe qui joue au PSG Il est l'une des personnes les plus connues au monde, bien qu'il ait pris sa retraite en 1977. Pelé est surtout connu pour avoir remporté trois coupes du monde - le seul athlète masculin ou féminin à avoir accompli cet exploit et avoir marqué un record mondial de 1281 buts en 1363 matchs pour son club et pour son pays. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Mais il y a encore beaucoup d'histoires dont vous n'avez pas entendu parler au sujet de l'une des personnes les plus célèbres de l'histoire. En voici dix: Pelé a fait expulser un arbitre Velazquez (à droite) a fait sortir Pelé, avant d'être lui-même expulsé du terrain Le club de Pelé, le Santos FC, affronte l'équipe olympique colombienne lors d'un match amical le 18 juin 1968 à Bogotá. Un stade bondé qui a le souffle coupé lorsque l'arbitre Guillermo Velasquez dit à Pelé de quitter le terrain (les cartons rouges n'ont été introduits qu'en 1970) après que le Brésilien a commis une faute sur un défenseur et, selon Velazquez, il l'a insulté. Les joueurs de Santos encerclé l'arbitre et les images du match montrent Velazquez avec un œil au beurre noir suite à cette altercation. La foule protestent également contre cette décision. Dans une interview en 2010, l'arbitre explique qu'on lui a alors dit de quitter le terrain et de céder le sifflet à l'un des juges de lignes. Pelé retrouve rapidement la pelouse. Pelé a-t-il vraiment arrêté une guerre? La guerre civile nigériane a entraîné la mort de plus d'un million de personnes entre 1967 et 1970. Dans les années 1960, le Santos FC de Pelé est l'une des équipes de football les plus célèbres au monde. Il profit de cette renommée pour disputer des matchs amicaux d'exhibition partout dans le monde. L'un de ces matchs a lieu le 4 février 1969 au Nigeria, à l'époque, déchiré par la guerre. Santos bat le 11 local 2-1 à Benin City. Le Nigeria à l'époque est plongé dans une guerre civile sanglante déclenchée par la tentative de sécession de l'État du Biafra. Selon l'historien du Santos FC Guilherme Guarche, les Brésiliens s'inquiètent pour la sécurité de la délégation et un cessez-le-feu entre les belligérants est convenu. Cette version est contestée ces dernières années et n'apparaît curieusement pas dans la première autobiographie de Pelé, publiée en 1977. Mais on la retrouve dans une autre autobiographie, publiée 30 ans plus tard. Il y explique que les joueurs avaient été informés que \"la guerre civile serait arrêtée pour leur match d'exhibition\". «Eh bien, je ne suis pas sûr que ce soit tout à fait vrai, mais les Nigérians ont certainement fait en sorte que les Biafrans n'envahissent pas pendant que nous étions là », écrit Pelé. Lire aussi : Comment Pelé a \"snobé les Beatles\" On ne sait pas si Ringo Starr voulait jouer avec Pelé lors de leur rencontre \"qui ne s'est jamais produite\" en 1966 Pelé déménage à New York en 1975 pour jouer pour les New York Cosmos lorsque les États-Unis tentent pour la première fois de créer une ligue de football professionnelle (1968-1964). Il suit des cours d'anglais dans une école de langues et croise l'ancien Beatle John Lennon, qui vit également dans la Big Apple. \"Lennon apprenait le japonais dans la même école\", raconte Pelé dans ses mémoires écrites en 2007. Le Brésilien affirme que Lennon lui a dit que lui et les autres Beatles ont tenté de visiter l'hôtel de l'équipe brésilienne lors de la Coupe du monde de 1966, disputée en Angleterre. Pelé écrit aussi que les tentatives des musiciens pour le rencontrer avec le reste de l'équipe sont bloquées par les directeurs très conservateurs de la Confédération brésilienne de football. Pourquoi il n'a jamais joué pour un club européen? Après avoir joué pendant 18 ans au FC Santos, Pelé rejoint les New York Cosmos en 1975 pour trois saisons. Les critiques de Pelé affirment que le fait de n'avoir jamais joué au football en club en Europe lui a rendu la vie plus facile. Le problème est que, contrairement à de nombreux joueurs brésiliens, célèbres ou non, Pelé est littéralement empêché de déménager à l'étranger à son apogée. Le Santos FC refuse les offres de clubs tels que le Real Madrid et le Milan AC à un moment où les joueurs n'ont pas leur mot à dire sur l'endroit où ils veulent jouer. La pression pour le garder au Brésil est venue même des très hauts responsables du gouvernement. En 1961, le président Janio Quadros publie un décret déclarant que Pelé estt un \"trésor national\" qui ne peut pas être \"exporté\". La légende brésilienne jouera finalement pour un club étranger, mais seulement en 1975, lorsqu'il rejoint l'équipe américaine des New York Cosmos. Lire aussi : Des débuts en tant que capitaine du Brésil à l'âge de ... cinquante ans Pelé a porté le brassard en tant que capitaine du Brésil pour la première fois en 1990, à l'âge avancé de 50 ans Vous avez bien lu. Pelé a porté le brassard brésilien une seule fois dans sa carrière, il a toujours refusé le poste de capitaine du club et de l'équipe nationale. Il fait une exception le jour où il joue pour le Brésil à l'âge de 50 ans. Cela s'est produit en 1990, 19 ans après avoir pris sa retraite de l'équipe nationale. Il a pris part à un match amical Brésil contre le Reste du Monde organisé à Milan pour marquer son 50e anniversaire. Pelé avait joué les 45 premières minutes. La défaite 2-1 est devenue célèbre au Brésil pour une raison: l'attaquant de Fluminense Rinaldo a eu la chance de mettre Pelé en position de but mais a préféré tirer au lieu de passer le ballon au vétéran lors du match organisé en son honneur. \"Il s'est un peu fâché contre moi au début\", confie Rinaldo au site brésilien Globo Esporte en 2010. Quand Pelé est \"kidnappé\" dans les Caraïbes Pelé était habitué à être porté sur les épaules des gens, mais l'expérience de Trinidad était différente. Les joueurs du FC Santos ne sont pas contents de jouer à Trinité-et-Tobago le 5 septembre 1972. \"Il y avait eu de graves troubles et nous avons vu des chars dans les rues\", explique le défenseur Oberdan au journal brésilien Zero Hora en 2010. \"Nous avons tous convenu que nous devions jouer le match aussi vite que possible pour pouvoir remonter dans un avion.\" Mais la délégation n'anticipe pas la réaction de la foule au but de Pelé à la 43e minute. Les supporters envahissent le terrain du stade de Port of Spain et défilent dans les rues de la ville en portant Pelé sur leurs épaules. Il faudra plusieurs minutes pour qu'il soit secouru. Lire aussi : Voler la vedette de Sylvester Stallone Pousse-toi, Sly : le manque d'aptitude au football de Stallone a entraîné un changement des rôles avec Pelé pour le film Escape to Victory (1981) Lorsque le tournage d'Escape to Victory commence en 1980, Sylvester Stallone est déjà une star en vogue dans l'industrie cinématographique grâce au succès des deux premiers Rocky. Escape to Victory raconte l'histoire d'un match imaginaire entre une équipe nazi et une équipe de prisonniers pendant la Seconde Guerre mondiale. Pelé est là, aux côtés d'autres footballeurs professionnels actifs et retraités tels que les vainqueurs de la Coupe du monde Bobby Moore et Ossie Ardiles, tandis que Stallone joue un gardien de but. Pelé frappe un coup de pied de bicyclette acrobatique dans l'une des scènes, marquant apparemment parfaitement sur le coup. Curieusement, Pelé indique au site Web brésilien UOL plus tôt ce mois-ci, dans une interview vidéo, que Stallone était censé être celui qui marquait les buts. \"Dans le scénario original, Stallone était l'attaquant et j'étais censé être le gardien de but\", raconte le footballeur. \"Mais il n'aurait pas pu frapper un ballon même pour sauver sa vie\", se rappelle Pelé en riant. D'ailleurs, Pelé était un gardien plutôt bon… Pelé était le gardien de but remplaçant désigné pour le Santos FC et le Brésil En fait, Pelé était un bon gardien de but et n'aurait certainement pas déçu s'il avait joué le rôle de gardien de but dans Escape to Victory. Dans la vraie vie, le Brésilien est un joueur remplaçant désigné pour le poste de gardien, car à cette époque les équipes ne peuvent effectuer qu'un seul remplacement par match. Il enfile les gants quatre fois pour le FC Santos au cours de sa carrière, y compris en demi-finale de Coupe du Brésil en 1964. L'équipe remporte tous les matchs et Pelé ne concède pas un seul but. Lire aussi : Il n'y a pas qu'un seul Pelé ... Abedi Pele est sans doute le footballeur le plus célèbre du Ghana. Les fans sont peut-être ravis de chanter \"Il n'y a qu'un seul Pelé!\", mais ce n'est pas tout à fait vrai. Grâce à ses exploits, Pelé a des homonymes partout dans le monde, sur et hors du terrain. L'un des footballeurs les plus célèbres d'Afrique est né Abedi Ayew, mais il est devenu célèbre en tant qu'Abedi Pelé. Il a joué pour le Ghana et un certain nombre de clubs européens. En Angleterre, le défenseur capverdien Pedro Monteiro, qui a rejoint Southampton en 2006, était également connu sous le nom de Pelé, un surnom acquis dans l'enfance. Mais on peut mieux mesurer l'impact de Pelé avec son nom de baptême. Selon l'Institut brésilien de géographie et de statistique, une agence gouvernementale, le prénom Edson a explosé après les exploits de Pelé. Dans les années 50, il y avait 43 511 personnes appelées Edson au Brésil. Deux décennies plus tard, après que Pelé a marqué plus de 1 000 buts et remporté trois Coupes du monde, le nombre était passé à plus de 111 000. Le roi aurait-il pu devenir président ? La candidature présidentielle n'est jamais arrivée, mais Pelé a été ministre des Sports du Brésil pendant trois ans dans les années 1990. En 1990, Pelé annonce à la presse internationale qu'il pensait se présenter à la présidentielle brésilienne de 1994. La candidature n'est jamais vraiment venue, mais Pelé est bel et bien entré en politique au cours de la même décennie: de 1995 à 1998, il est ministre brésilien des Sport et il fait pression pour que la législation donne aux footballeurs professionnels plus de pouvoir de négociation avec les clubs, ce dont sa propre génération avait manqué. A regarder : Pelé: “le Brésil a ce qu’il faut pour gagner” le mondial 2018"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46886337", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46894582", "doc1": "ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে হেরেছে দেশটির সরকার এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হলো। প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২জন। ২৯শে মার্চের মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন এখন সরকারের ওপর একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যা দেশটিতে একটি সাধারণ নির্বাচনে গড়াতে পারে��� মিসেস মে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার তিনি বিতর্কে অংশ নিতে পারেন। মি. করবিন বলছেন, এই সরকারের পরিষ্কার অদক্ষতার ব্যাপারে কমন্স সদস্যদের মতামত জানানোর সুযোগ করে দেবে এই আস্থা ভোট। আরো পড়ুন: এক রাতেই কীভাবে বদলে যেতে পারে ব্রিটেন ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর স্কটল্যান্ড ও ব্রেক্সিট: এরপর কী হবে? টেরিজা মে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তবে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির একটি সূত্র বিবিসি সংবাদদাতাকে জানিয়েছে যে, আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে তারা মিসেস মে'কে সমর্থন করবেন। সংসদ সদস্যরা যদি অনাস্থা ভোট সমর্থন করেন, তাহলে সরকার বা অন্য কেউ যে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন, তাদের পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে আরেকটি আস্থা ভোটে বিজয়ী হতে হবে। সেটি না হলে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটিতে ১১৮জন এমপি বিরোধী দলের সঙ্গে মিসেস মে'র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সাধারণ ক্ষেত্রে এ ধরণের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের ওপর বিশাল পরাজয়ের পর আশা করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'প্রশ্নবিদ্ধ, 'অভূতপূর্ব', 'অবিশ্বাস্য': নির্বাচন নিয়ে টিআইবি পরিবেশ-বান্ধব থেকেও যেভাবে হবেন স্টাইল আইকন তাবলীগের বিরোধ ভারতের দেওবন্দে গিয়ে কি মিটবে? টেরিজা মে আভাস দিয়েছেন যে, তিনি সরকার পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন তবে ভোটাভুটির পরেই মিসেস মে আভাস দিয়েছেন যে, তিনি সরকার পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন। ''হাউজ তাদের মতামত দিয়েছে এবং সরকার সেটি শুনবে,'' সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন। সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিটের বিষয়ে করণীয় ঠিক করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ভোটের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যাতে তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়টি পরিষ্কার করে।", "doc2": "La Première ministre britannique Theresa May quitte le 10 Downing Street à Londres, le 16 janvier 2019, avant les questions des députés, suivies d'un débat et d'un vote pour dissoudre le gouvernement. Après avoir négocié plus d'un an avec Bruxelles, la Première ministre britannique a vu le texte largement rejeté par la Chambre des communes, par 432 voix contre 202. Suite a cet échec, le leader travailliste Jeremy Corbyn a déjà appelé à un vote de défiance contre le gouvernement. Le travailliste Jeremy Corbyn a déjà appelé à un vote de défiance contre le gouvernement. En vertu de la loi de 2011 sur les parlements à durée déterminée, les élections générales au Royaume-Uni ne sont censées avoir lieu que tous les cinq ans. La prochaine doit normalement avoir lieu en 2022. Le rejet par le parlement britannique de l'accord du gouvernement sur le Brexit fait la une de la presse britannique du 16 janvier 2019 Mais une motion de défiance permet aux députés de décider s'ils veulent conserver le gouvernement tel qu'il est ou le dissoudre. Dans ce cas, de nouvelle élections seraient organisées. La motion doit être énoncée en ces termes : \"La Chambre n'a aucune confiance dans le gouvernement de Sa Majesté\". Le vote aura lieu mercredi 16 janvier, à 19h00 GMT. Brexit : Pourquoi est-il si difficile de s’entendre ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48951683", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49885785", "doc1": "চিনিযুক্ত পানীয়র ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে এক লাখেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। গবেষণার ফলাফল ব্রিটিশ মেডিকেল জর্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্যারিসে সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন, রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া-ই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণায় এরকম কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি যার ভিত্তিতে এটাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। একারণে বিশেষজ্ঞরা আরো গবেষণার উপর জোর দিয়েছেন। চিনিযুক্ত পানীয় কোনগুলো? যেসব পানীয়তে ৫% এর বেশি চিনি আছে গবেষকরা সেগুলোকে চিনিযুক্ত পানীয় বলে বিবেচনা করেছেন। এসবের মধ্যে আছে ফলের রস (এমনকি বাড়তি চিনি না মেশানোর পরেও), সফট ড্রিঙ্ক, মিষ্টি মিল্কশেক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং চিনি দেওয়া চা ও কফি। গবেষকরা বাজারে জিরো-ক্যালোরি বলে যেসব পানীয় বিক্রি হয় সেসব ডায়েট ড্রিঙ্ক নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছেন এবং দেখেছেন এগুলোর সাথে ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই। এসব পানীয়তে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার মেশানো হয়। ফলের রস (বাড়তি চিনি না মেশালেও) সেটা চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই ধরা হয়েছে। কতোখানি ঝুঁকি? গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে যদি ১০০ মিলি লিটার চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া হয়, যা সপ্তাহে দুই ক্যান পানীয়র সমান, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়ে যায়। এরকম প্রতি ১,০০০ জনে ২২ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। \"এ থেকে ধারণা করা যায় যে চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার সাথে ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক আছে। তবে এবিষয়ে আরো বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে,\" বলেছেন ড. গ্রাহাম হুইলার, যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। এই গবেষণার সময় মোট ২,১৯৩ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬৯৩ জন স্তন ক্যান্সার, ২৯১ জন প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ১৬৬ জন মলনালী সংক্রান্ত বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই প্রমাণই কি যথেষ্ট? না। যেভাবে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে তা থেকে এর একটি ধরন বা প্যাটার্ন চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু এসব পরিসংখ্যান থেকে এর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি পান করার কারণে যে ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া গেছে গবেষণায় সেটি দেখা যায় নি। তাতে বলা হয়নি যারা বেশি পান করেছে (দিনে প্রায় ১৮৫ মিলিলিটার) তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যারা কম পান করেছে (দিনে ৩০মিলিলিটারেরও কম) তাদের তুলনায় বেশি। তবে যারা চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খান তাদের মধ্যে আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে যেসব থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সফট ড্রিঙ্কে প্রচুর চিনি থাকে। আরো পড়তে পারেন: ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় ফলে এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট করে বলা যায় না যে চিনিযুক্ত পানীয় ক্যান্সারের কারণ। \"গবেষণাটি যদিও ক্যান্সার ও চিনিযুক্ত পানীয়র মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেয়নি, তারপরেও চিনি খাওয়া যে কমিয়ে দেওয়া দরকার, এই গবেষণায় সেই গুরুত্ব উঠে এসেছে,\" বলেন ড. অ্যামেলিয়া লেক, টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, \"আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি।\" তাহলে কি স্থূলতা? কোন কোন ক্যান্সারের জন্যে প্রধান কারণ স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া। এবং খুব বেশি পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে গবেষণায় যা বলা হয়েছে এখানেই তার শেষ নয়। \"অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যায় - এটা একটা অংশ মাত্র। কিন্তু এর যে আরো বিষয় আছে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি,\" বলেন মাটিলডে তোভির, একজন গবেষক। ফরাসী গবেষকরা বলছেন, রক্তে চিনির মাত্রা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চা কফিতে চিনি খেলে সেটাও চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়, রঙিন করে তোলার জন্যে, সেগুলোও শরীরের জন্যে ক্ষতিকর, সেগুলোও ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণাতে এই প্রশ্নেরও জবাব নেই। প্যারিসের গবেষকরাও বলছেন, তাদের ফলাফলকে নিশ্চিত ভাবে ধরে নিতে হলে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা বলছেন, চিনিযুক্ত পানীয়র সাথে হৃদরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস- এসবের সম্পর্ক আছে। এজন্যে তারা চিনিযুক্ত পানীয়র ওপর আরো কর বাড়ানোর কথাও বলেছেন। তারা বলছেন, এর ফলে লোকেরা চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করছেন ভারতের 'দোসা কিং'", "doc2": "Le lien a été suggéré par une étude, publiée dans le British Medical Journal, qui a suivi plus de 100 000 personnes pendant cinq ans. L'équipe de l'Université de la Sorbonne à Paris pense que l'impact de la glycémie pourrait être en cause. Cependant, la recherche est loin d'être une preuve définitive et les experts ont réclamé des études plus approfondies. Qu'est-ce qui est considéré comme une boisson sucrée ? Les chercheurs l'ont défini comme une boisson contenant plus de 5% de sucre. Lire aussi : \"Pas de soda pour les enfants !\" Les athlètes plus susceptibles d'avoir des problèmes buco-dentaires Cela comprenait les jus de fruits (même sans sucre ajouté), les boissons gazeuses, les laits frappés sucrés, les boissons énergisantes et le thé ou le café avec sucre ajouté. L'équipe s'est également penchée sur les boissons diététiques utilisant des édulcorants artificiels sans calorie au lieu du sucre, mais n'a trouvé aucun lien avec le cancer. Quel est le risque de cancer ? L'étude a conclu qu'une consommation supplémentaire de 100 ml de boissons sucrées par jour - environ deux canettes par semaine - augmenterait de 18 % le risque de développer un cancer. Pour chaque tranche de 1 000 personnes participant à l'étude, il y avait 22 cancers. Ainsi, s'ils consommaient tous 100 ml de plus par jour, cela entraînerait quatre cancers de plus, ce qui porterait le total à 26 pour 1 000 tous les cinq ans, selon les chercheurs. \"Cependant, cela suppose qu'il existe un lien de causalité réel entre la consommation de boissons sucrées et le développement d'un cancer, ce qui nécessite encore des recherches plus approfondies \", a déclaré le Dr Graham Wheeler, statisticien au University College London. Sur les 2 193 cancers découverts au cours de l'étude, 693 étaient des cancers du sein, 291 des cancers de la prostate et 166 des cancers colorectaux. Est-ce une preuve définitive ? Non - la façon dont l'étude a été conçue signifie qu'elle peut déceler des tendances dans les données, mais qu'elle ne peut pas les expliquer. Ainsi, il a été montré que les personnes qui buvaient le plus (environ 185 ml par jour) avaient plus de cas de cancer que celles qui en buvaient le moins (moins de 30 ml par jour). Et une explication possible est que les boissons sucrées augmentent le risque de cancer. Mais, alternativement, les personnes qui boivent les boissons les plus sucrées pourraient avoir d'autres comportements malsains (manger plus de sel et de calories, par exemple) qui augmentent leur risque de cancer et les boissons sucrées elles-mêmes pourraient être sans importance. L'étude ne peut donc pas dire que les boissons sucrées causent le cancer. \"Bien que cette étude n'offre pas de réponse causale définitive au sujet du sucre et du cancer, elle ajoute à l'image globale de l'importance de la campagne actuelle visant à réduire notre consommation de sucre \", a déclaré le Dr Amelia Lake, de la Teesside University. Elle a ajouté : \"Réduire la quantité de sucre dans notre alimentation est extrêmement important.\" Les boissons sucrées causent-elles le cancer ? S'agit-il uniquement d'obésité ? L'obésité est une cause majeure de certains cancers - et une consommation excessive de boissons sucrées augmenterait les risques de prise de poids. Cependant, selon l'étude, ce n'est pas tout. \"L'obésité et le gain de poids causés par une consommation excessive de sucre et de boissons ont certainement joué un rôle, mais ils n'expliquent pas tout\", a déclaré le Dr Mathilde Touvier, l'un des chercheurs, à BBC News. Lire aussi : Pourquoi l'obésité peut causer le cancer L'obésité tuera plus de femmes que le tabac dans 25 ans Alors, que se passe-t-il ? Les chercheurs français affirment que le lien \"était fortement lié à la teneur en sucre\" et qu'ils pointent du doigt les niveaux de sucre dans le sang. Ils suggèrent également que certains produits chimiques contenus dans les boissons, comme ceux qui donnent une couleur attrayante, peuvent être en cause. Cependant, leur étude ne tente pas de répondre à cette question. \"Je trouve que la plausibilité biologique de cette hypothèse est difficile, étant donné qu'il n'y avait pas de différence significative entre les groupes en ce qui concerne le poids corporel ou l'incidence du diabète, qui est souvent cité comme un risque associé \", a déclaré Catherine Collins, diététicienne au NHS. A regarder : Le sucre, cet ennemi caché de notre santé Que disent les chercheurs ? L'équipe de l'Université de Sorbonne de Paris affirme que d'autres études à grande échelle sont nécessaires pour corroborer les résultats. \"Les boissons sucrées sont connues pour être associées à un risque accru de maladies cardiovasculaires, de surpoids, d'obésité et de diabète \", a déclaré le Dr Touvier. \"Mais ce que nous montrons, c'est qu'elles sont aussi associées, peut-être, au risque de cancer.\" Ils affirment que leurs recherches prouvent une fois de plus que la taxation des boissons sucrées est une bonne idée. \"Ces données confirment la pertinence des recommandations nutritionnelles existantes pour limiter la consommation de boissons sucrées, y compris les jus de fruits à 100 %, ainsi que des mesures politiques, telles que des restrictions fiscales et commerciales visant les boissons sucrées \", indique le rapport. Le Royaume-Uni a introduit une taxe sur le sucre en 2018, les fabricants devant payer une taxe sur les boissons à haute teneur en sucre qu'ils produisent. Que disent les fabricants de boissons ? La British Soft Drinks Association a déclaré que l'étude \"ne fournit pas de preuve de cause, comme les auteurs l'admettent volontiers\". Son directeur général, Gavin Partington, a ajouté : \" Les boissons gazeuses peuvent être consommées sans danger dans le cadre d'une alimentation équilibrée\". \"L'industrie des boissons gazeuses reconnaît qu'elle a un rôle à jouer dans la lutte contre l'obésité, c'est pourquoi nous avons ouvert la voie en matière de réduction des calories et du sucre\", a-t-il ajouté. A regarder : Un nutritionniste donne de bonnes raisons de ne pas servir des sodas aux enfants."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53303719", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53303331", "doc1": "ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটির ছবি তিনি বলেন, নাতানজে পারমাণবিক কেন্দ্রের আগুনের কারণ তারা জানতে পেরেছেন, যদিও এর বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। তবে আগুনে যেসব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে সেগুলোর জায়গায় আরও উন্নত যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পারমাণবিক কেন্দ্রটির সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন ওয়ার্কশপে আগুন লেগেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে ইরানের কর্মকর্তারা এ দুর্ঘটনার জন্য সাইবার নাশকতাকে দায়ী করছেন। প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি রিয়েক্টর এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না। \"এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি,\" বলেন তিনি। ইরানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরও কয়েকটি জায়গায় আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মিস্টার কামালভান্দি বলছেন, \"এ ঘটনা অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন ��� উন্নয়নের গতিকে ধীর করতে পারে... ইরান ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জায়গায় আরও বড় ভবন করবে যাতে আরও আধুনিক উপকরণ সংযোজিত হবে\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা মিস্টার কামালভান্দি বলেন নির্মাণাধীন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল শেডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা যায় ভবনটি আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষকরা এটিকে নতুন সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কারখানা হিসেবে শনাক্ত করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলছে যে তারা বিশ্বাস করেন এটি সাইবার অ্যাটাকের ঘটনা, তবে তারা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। আরও যেসব ঘটনা ঘটেছে পারচিন মিলিটারি কমপ্লেক্সের কাছে বিস্ফোরণের ছয়দিন পর নাতানজের আগুনের ঘটনা ঘটলো। ইরান কর্তৃপক্ষ সেখানে গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছে, কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে যে এর কাছে মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র আছে। পারচিন তেহরানের কাছেই একটি জায়গা। পশ্চিমা শক্তিগুলো এটিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মনে করে। ইরান বরাবরই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ দাবি করে। এদিকে রোববার কর্মকর্তারা জানায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করেছে ইরান কেন নাতানজ গুরুত্বপূর্ণ? তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে দেখা গেছে ইরান সম্মত হয়েছিলো যে কম মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে যা পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল উৎপাদন করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গত বছর ইরান এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এরপর ইরান নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানায়।", "doc2": "L'Organisation iranienne de l'énergie atomique a publié une photo montrant le bâtiment endommagé Il a dit que la cause de l'incendie sur le site d'enrichissement de Natanz avait été déterminée, mais il n'a donné aucun détail. Le porte-parole a ajouté que les machines détruites seraient éventuellement remplacées par des équipements plus avancés. L'incendie a frappé un atelier d'assemblage de centrifugeuses. Certains responsables iraniens ont évoqué un éventuel cyber-sabotage. Des centrifugeuses sont nécessaires pour produire de l'uranium enrichi, qui peut être utilisé pour fabriquer du combustible pour un réacteur mais aussi des armes nucléaires. Behrouz Kamalvandi, porte-parole de l'Organisation iranienne de l'énergie atomique, a déclaré dimanche que les responsables du site ne dévoilent pas la cause de l'incendie de Natanz \"pour des raisons de sécurité\". L'incident, a-t-il dit, a \"causé des dégâts importants, mais n'a fait aucun blessé\". D'autres incendies et explosions se sont également produits la semaine dernière en Iran. Lire aussi : M. Kamalvandi a ajouté: \"l'incident pourrait ralentir le développement et la production de centrifugeuses avancées à moyen terme ... L'Iran remplacera le bâtiment endommagé par un plus grand, doté d'équipements plus avancés.\" Que s'est-il passé jeudi? L'incendie s'est produit dans \"l'un des hangars industriels en construction\" à Natanz, avait alors déclaré M. Kamalvandi. L'AEOI a ensuite publié une photo montrant un bâtiment partiellement incendié, que les analystes américains ont identifié comme un nouvel atelier d'assemblage de centrifugeuses. L'agence de presse Reuters a cité des responsables iraniens anonymes affirmant qu'ils pensent que l'incendie était le résultat d'une cyber attaque, mais n'ont donné aucune preuve. L'Agence internationale de l'énergie atomique (AIEA), qui surveille le respect par l'Iran d'un accord nucléaire de 2015 conclu avec les puissances mondiales, a déclaré qu'elle ne prévoyait aucun impact sur ses activités de vérification. Quels autres incidents se sont produits? L'incendie de Natanz survient six jours après une explosion près du complexe militaire de Parchin. Les autorités iraniennes ont déclaré que l'explosion avait été causée par des \"fuites de réservoirs de gaz\" sur le site, mais les analystes ont indiqué que des photographies satellitaires avaient montré que cela s'était produit dans une usine de production de missiles à proximité. C'est à Parchin, près de Téhéran, que les puissances occidentales soupçonnent que l'Iran a effectué des tests liés aux explosions d'ogives nucléaires il y a plus de dix ans. L'Iran insiste sur le fait que son programme nucléaire est pacifique et nie avoir cherché à développer des armes nucléaires. Dimanche, des responsables iraniens ont affirmé qu'il y avait eu un incendie dans une centrale électrique près de la ville d'Ahvaz, dans le sud-ouest du pays. Ils ont dit que l'incendie avait été éteint et que l'électricité avait été rétablie. Pourquoi le site de Natanz est important? Natanz, à environ 250 km au sud de la capitale Téhéran, est la plus grande installation d'enrichissement d'uranium d'Iran. L'accord nucléaire de 2015 a vu l'Iran accepter uniquement de produire de l'uranium faiblement enrichi, qui a une concentration de 3-4% en U-235 et peut être utilisé pour produire du combustible pour les centrales nucléaires. L'uranium de qualité militaire est enrichi à 90% ou plus. En novembre, l'Iran a dévoilé des centrifugeuses avancées à Natanz L'Iran a également accepté d'installer pas plus de 5060 centrifugeuses parmi les plus anciennes et les moins efficaces à Natanz jusqu'en 2026, et de ne procéder à aucun enrichissement dans son installation souterraine, Fordo, jusqu'en 2031. L'année dernière, l'Iran a commencé à annuler ces engagements en représailles à la décision du président américain Donald Trump d'abandonner l'accord sur le nucléaire et de rétablir des sanctions économiques paralysantes contre le pays. En novembre, l'Iran a déclaré avoir doublé le nombre de centrifugeuses avancées exploitées à Natanz et commencé à injecter de l'hexafluorure d'uranium dans des centrifugeuses à Fordo."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53761305", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-53764260", "doc1": "কামালা হ্যারিস এবং জো বাইডেন উইলমিংটনের নির্বাচনী প্রচারণায় একসঙ্গে যোগ দেন। তারা দুজনই তাদের নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম অনুষ্ঠানটি একসাথে করেন। এর আগে, মি. বাইডেন তার রানিং মেট হিসেবে মিস হ্যারিসকে প্রথম সামনে আনেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, যে মিস হ্যারিস তার নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে \"নুড়ি পাথরের মতো নীচে গড়িয়ে পড়ে যাবেন\"। মি. বাইডেন নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান মি. ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন। বাইডেন কী বলেছেন? ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে বুধবারের এই নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ৭৭ বছর বয়সী মি. বাইডেন। উভয় প্রার্থী মুখে মাস্ক পরে মঞ্চে উপস্থিত হন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরা এক দল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বলছে, দু'জন প্রার্থীকে এক ঝলক দেখতে প্রচারণা অনুষ্ঠান শুরুর আগে হালকা বৃষ্টির মধ্যে প্রায় ৭৫ জন লোক বাইরে জড়ো হয়েছিল, যদিও এই ভিড়ে থাকা কয়েকজন মি. বাইডেনের সমালোচক ছিলেন। অ্যালেক্সিস আই ডুপন্ট হাই স্কুলের জিমনেশিয়াম থেকে বক্তব্য রাখার সময় মি. বাইডেন বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর, মিসেস হ্যারিস হলেন প্রথম কোন বর্ণের নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান একটি দলের হয়ে প্রেসিডেন্টের রানিং মেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মি. বাইডেন বলেন: \"আমরা এই নভেম্বরে যাকে বেছে নেব, তিনি নির্ধারণ করবেন আমেরিকার দীর্ঘ সময়ের ভবিষ্যৎ।\" ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে এসব বক্তব্যের জবাব দিতে শুরু করেছেন। কমালাকে জঘন্য বলে সম্বোধন করেছেন এবং কমালা তার নিয়োগকারীর দৃষ্টিতে কেমন, সেটা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। \"এটি অবাক হওয়ার কিছু নয় কারণ আমেরিকার ইতিহাসে যে কোনও প্রেসিডেন্টের চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি ঘ্যানঘ্যান করেন।\" \"একজন নারী অথবা কোন একটি বোর্ড জুড়ে থাকা শক্তিশালী নারীদের নিয়ে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমস্যা আছে, এতে কি কেউ অবাক হয়েছেন?\" বলেন, মি. বাইডেন। তিনি মি. ট্রাম্পের করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন, বেকারত্বের হার সামাল দেয়ার ব্যর্থতা এবং \"তাঁর বর্ণবাদী বক্তব্য ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে\" আক্রমণ করেন। নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। হ্যারিস কি বলেছেন? মি. বাইডেনের পর মিস হ্যারিস মঞ্চে এসে বলেন: \"আমি কাজ করতে প্রস্তুত আছি।\" ৫৫ বছর বয়সী সাবেক এই আইনপ্রণেতা সাংবাদিকদের বলেন: \"আমেরিকার সাথে কী হবে, সেটা নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের শিশুরা, আমরা যে ধরণের দেশে বাস করছি তার সবকিছুই এর সঙ্গে যুক্ত। \" মিস হ্যারিস, যিনি কিনা ভারতীয় এবং জ্যামাইকান অভিবাসীর সন্তান- তিনি আরও বলেন: \"আমেরিকা সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য হাহাকার করছে, অথচ আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আছেন তিনি শুধু নিজের চিন্তায় আছেন। যারা তাকে নির্বাচিত করেছে তাদের দিকে খেয়াল নেই।।\" তিনি আরও বলেন: \"তিনি [মি. ট্রাম্প] বারাক ওবামা এবং জো বাইডেনের কাছ থেকে ইতিহাসের দীর্ঘতম অর্থনৈতিক প্রসার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। \"এরপর তিনি, তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্ত কিছু সরাসরি মাটিতে ছুঁড়ে নষ্ট করেছেন।\" মিস হ্যারিস বলেন: \"এমনটা তখনই হয়, যখন আমরা এমন একজনকে বেছে নিই যিনি এই কাজের জন্য উপযুক্ত নন- আমাদের দেশকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে আমাদের খ্যাতিও বিনষ্ট হয়েছে।\" আরও পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে কিছু তথ্য ২০২০ নির্বাচনে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রভাব ফেলবে? ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া: বুধবার হোয়াইট হাউসের একটি সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প বলেন, কমালা হ্যারিস যখন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন তখন তিনি মি. বাইডেনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। \"আমি দেখেছি তার জরিপের সংখ্যাগুলো বুম, বুম, বুম, করে নামতে নামতে প্রায় শূন্যে পৌঁছে যায়, এবং তিনি রাগে পাগল হয়ে যান\", বলেন মি. ট্রাম্প। \"তিনি (কমালা) বাইডেনের সম্পর্কে ভয়ংকর সব কথা বলেছেন। এমনকি একজন নারী যখন বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তখন তার কথাও মিস হ্যারিস বিশ্বাস করেছিলেন বলে আমার ধারণা\"। \"এখন সেই তিনিই বাইডেনের রানিং মেট হয়ে গেলেন। আবার বাইডেন সম্পর্কে ভালো ভালো কথাও বলছেন\", বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সরঞ্জামাদি মি. বাইডেনের বিরুদ্ধে এর আগে কয়েকজন নারী অযাচিত ব্যবহার যেমন স্পর্শ এবং চুম্বন করার অভিযোগ তুলেছিলেন। মিস হ্যারিস এসব অভিযোগের বিষয়ে ২০১২ সালের এপ্রিলে সাংবাদিকদের বলেছিলেন: \"আমি ওই নারীদের বিশ্বাস করি।\" মি. বাইডেন সেই সময়ে স্বীকার করেছিলেন যে তাকে অবশ্যই ব্যক্তিগত বিষয়ের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। মি. বাইডেনের বিরুদ্ধে এই বছর আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন সাবেক এক সেনেটের সহযোগী। ১৯৯৩ সালে কংগ্রেসের হলে মি. বাইডেন তাকে যৌন নির্���াতন করেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মি. বাইডেন। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বাদ পড়ে যাওয়া মিস হ্যারিস বলেছেন, মিসেস রিডের \"তার গল্প বলার অধিকার আছে\"। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকজন নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল, যার সবই ট্রাম্প অস্বীকার করেন। বাইডেন-হ্যারিসের এই প্রচারণা অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প এই লকডাউনের মধ্যে মিঃ বাইডেনকে টিটকারির স্বরে বাড়িতে থাকতে বলেন। হোয়াইট হাউসের ইভেন্টে প্রেসিডেন্ট একদল শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেন, ঘরে বসে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করা স্বাস্থ্যকর কি না। তারপরে তিনি বলেন: \"তাহলে আপনি যদি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন এবং আপনি একটি বেসমেন্টে বসে থাকেন এবং আপনি একটি কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকেন, এটি কি ভালো বিষয় নয়?\" তারপরে তিনি বাইডেন হ্যারিসের প্রচারণাতে কটাক্ষ করে টুইট করেন: 'তারা কোরি বুকার, যিনি কিনা একজন কৃষ্ণাঙ্গ, তাকে শহরতলিতে স্বল্প আয়ের আবাসনের দায়িত্বে রাখবেন।' এই টুইটকে বর্ণবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন সমালোচকরা। মিস হ্যারিসকে রানিং মেট ঘোষণার পরে, বাইডেন-হ্যারিস একসাথে ছবি প্রকাশ করেন। এরপরে কি হবে? মি. বিডেন পরের সপ্তাহের দলীয় সম্মেলনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন, যা করোনভাইরাস মহামারীর কারণে মূলত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হবে। এক সপ্তাহ পরে রিপাবলিকানদের সম্মেলনে মিঃ ট্রাম্প তার সহকর্মীদের সমর্থনে হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় দফায় চার বছরের মেয়াদে মনোনীত হবেন। তেশরা নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের রায় দেওয়ার আগে ১০ সপ্তাহ ধরে প্রচারণা চলবে। মি. ট্রাম্প এবং মি. বাইডেন ২৯ সেপ্টেম্বর ওহাইও রাজ্যের ক্লিভল্যান্ড, ১৫ ই অক্টোবর ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি, এবং ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে, তিনটি বিতর্কে অংশ নেবেন। মিস হ্যারিস অক্টোবরে উটাহর সল্টলেক সিটিতে মি. ট্রাম্পের রানিং মেট, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে একটি বিতর্কে অংশ নেবেন। তেশরা নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হবেন জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবেদক অ্যান্থনি জার্চার যা বললেন গত মঙ্গলবার বিকেলে জো বাইডেন তার রানিং মেট হিসেবে কমালা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করেছেন। এরপর ���াদের মধ্যে থাকা নানা পার্থক্যের বিষয় সামনে আসে। মিস হ্যারিসের চাইতে মি. বাইডেন প্রায় ২০ বছরের বড়। তিনি একজন শ্বেতাঙ্গ, পেনসিলভেনিয়ার শ্রমজীবী পিতামাতার ছেলে। অন্যাদিকে মিস হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ায় জামাইকা এবং ভারতীয় অভিবাসী পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। বুধবার তারা প্রথম যৌথ প্রচারণায় অংশ নিয়ে তাদের মধ্যে কী কী বিষয়ে মিল রয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলেন। \"তার গল্প হল আমেরিকার গল্প,\" মিস্টার বাইডেন বলেন। \"অনেক ক্ষেত্রে আমার থেকে তিনি আলাদা, তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোয় আমাদের কোন পার্থক্য নেই।\" মিস হ্যারিসের কণ্ঠেও ধ্বনিত হয় যে, আমরা দুই প্রার্থী \"একই কাপড় থেকে কেটে নেয়া দুটো টুকরো\"। এটি এমন এক জাতীয় নিরাময় এবং ঐক্যের বার্তা যা আপনি এসব প্রচারনা থেকে আসবে বলে আশা করেন। যদিও এটা প্রার্থীদেরকে সাধারণ নির্বাচনে তাদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো থেকে বিরত রাখবে না। একে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ধাপের যুদ্ধ বলে জানিয়েছেন মি. জার্চার", "doc2": "Kamala Harris et Joe Biden à Wilmington, Delaware, le 12 août 2020 Les deux politiciens ont tenu leur premier événement de campagne conjoint, un jour après que M. Biden ait dévoilé Mme Harris comme son numéro deux. Le président Trump a riposté en déclarant que Mme Harris était \"tombée comme une pierre\" lors de sa propre campagne présidentielle lors des primaires. M. Biden affrontera M. Trump, un républicain, lors de l'élection de novembre. Aux Etats-Unis, Joe Biden se lance dans la course au Bureau Oval Qu'a dit M. Biden ? L'événement de mercredi dans une école de Wilmington, Delaware, n'était pas ouvert au public. M. Biden, 77 ans, a cité les besoins en matière de prévention du coronavirus. Les deux candidats sont montés sur scène avec des masques faciaux pour s'adresser à un groupe de journalistes. M. Biden a fait remarquer que Mme Harris, sénatrice américaine de Californie, était la première femme de couleur à être candidate à la présidence d'un grand parti américain. M. Biden a déclaré \"Le choix que nous faisons en novembre prochain va décider de l'avenir de l'Amérique pour très, très longtemps\". \"Donald Trump a déjà commencé ses attaques, appelant Kamala, je cite, \"méchante\", se plaignant de la façon dont elle est, je cite, \"méchante\" pour ses candidats\". \"Ce n'est pas une surprise car se plaindre est ce que Donald Trump fait le mieux, mieux que tout autre président dans l'histoire américaine\". \"Quelqu'un est-il surpris que Donald Trump ait un problème avec une femme forte, ou des femmes fortes dans tous les domaines ?\" Il a également attaqué la façon dont M. Trump gère la pandémie de coronavirus, le changement climatique, le taux de chômage et \"sa politique de rhétorique raciste qui fait appel à la division\". Qu'a dit Harris ? En venant à la tribune ensuite, Mme Harris a dit : \"Je suis prête à me mettre au travail\". L'ancien procureur, âgé de 55 ans, a déclaré aux journalistes : \"Tout ce qui nous importe, notre économie, notre santé, nos enfants, le genre de pays dans lequel nous vivons, tout est en jeu.\" Mme Harris - fille d'immigrants d'Inde et de Jamaïque - a poursuivi : \"L'Amérique réclame à grands cris un leadership, et pourtant nous avons un président qui se soucie plus de lui-même que des personnes qui l'ont élu. \"Il a hérité de Barack Obama et de Joe Biden la plus longue expansion économique de l'histoire. Et puis, comme tout ce dont il a hérité, il l'a fait tourner en rond\". Comment Trump a-t-il réagi ? Donald Trump, le président des USA Lors d'une conférence de presse à la Maison Blanche, M. Trump a dénigré l'échec de la candidature de Mme Harris à l'élection présidentielle du parti démocrate, au cours de laquelle elle a violemment attaqué le bilan de M. Biden. M. Trump a déclaré \"J'ai regardé ses sondages faire boum, boum, boum, jusqu'à presque rien, et elle est partie en colère, elle est partie furieuse\". \"Elle a dit des choses horribles à son sujet, y compris des accusations faites par une femme à son sujet\". \"Maintenant, tout d'un coup, elle se présente à la vice-présidence en disant à quel point il est merveilleux.\" L'année dernière, M. Biden a été accusé par un certain nombre de femmes de contacts importuns, y compris de toucher et d'embrasser. M. Biden a reconnu à l'époque qu'il devait respecter l'espace personnel. Une allégation plus grave a fait surface cette année de la part d'un ancien assistant qui a accusé M. Biden de l'avoir agressée sexuellement dans les couloirs du Congrès en 1993. Il a rejeté ces accusations. Mme Harris, qui avait alors abandonné la course à la présidence, a déclaré que Tara Reade \"a le droit de raconter son histoire\". Les archives de l'État de Californie montrent également que M. Trump a fait un don à Mme Harris lorsqu'elle était candidate au poste de procureur général de l'État en 2011 et 2013, alors qu'il était encore un simple citoyen. Au cours d'une réunion à la Maison Blanche avec des enseignants qui ont déclaré que les enfants apprenaient mieux en classe qu'à distance, le président Trump a demandé à une personne interrogée : \"Donc si vous êtes candidat à la présidence et que vous êtes assis dans un sous-sol et que vous regardez un ordinateur, ce n'est pas une bonne chose ?\" Il a également tweeté une attaque sur le ticket Biden-Harris, disant qu'ils allaient mettre le sénateur Cory Booker, qui est noir, en charge des logements sociaux. Les critiques ont dit que le tweet était raciste. Le duo Biden-Harris Que se passe-t-il ensuite ? M. Biden acceptera officiellement l'investiture démocrate à la présidence lors de la convention de la semaine prochaine, qui sera en grande partie un événement virtuel en raison de la pandémie. Il est devenu le candidat présumé du parti en avril après que Bernie Sanders, son seul concurrent restant, ait mis fin à sa propre campagne. En attendant, M. Trump sera nommé pour un second mandat de quatre ans à la Maison Blanche par ses collègues républicains lors de la convention de leur parti une semaine plus tard. Une campagne de dix semaines suivra avant que les électeurs ne rendent leur verdict lors des élections générales du 3 novembre. M. Trump et M. Biden tiendront trois débats en septembre et octobre. Mme Harris sera quant à elle face au vice-président Mike Pence en octobre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45505477", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/45508509", "doc1": "এ বছর বিশ্বে ১ কোটি ৮১ লক্ষ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০১২ সালের তুলনায় ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বিশ্বে বাড়ছে। দারিদ্র নয়, বরং জীবনযাপন মানের কারণে এটি ঘটছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার(আইএআরসি) বলছে, প্রতি পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন আর প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। ওই প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে, এ বছর বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর অর্ধেকই ঘটবে এশিয়ার দেশগুলোয়। বাংলাদেশের অবস্থা কেমন? আইএআরসির হিসাবে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৮১ জন। আক্রান্ত তালিকায় মুখের ক্যান্সার, ফুসফুস, ব্রেস্ট, জরায়ু মুখের মতো ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা যেখানে ৮২ হাজার ৭১৫জন, নারীদের সংখ্যা ৬৭ হাজার ০৬৬জন। বাংলাদেশের মেয়েরা স্তন ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন বাং���াদেশে ২০১৮ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ। তবে বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। এরপরেই রয়েছে জরায়ু মুখ এবং গল ব্লাডারের ক্যান্সার। আরো পড়তে পারেন: 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' কর্মস্থলে বৈষম্যের শিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের অনেকেই 'আমি তো সুস্থ আমি কেন ডাক্তারের কাছে যাবো?' বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার (রাসকিন) বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তুলনামূলক ভাবে এখনো বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের হিসাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার কিছুটা কম। কিন্তু নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কেন নারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে? সর্বশেষ এই গবেষণা বলছে, বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। এছাড়া নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার আর অন্ত্রের ক্যান্সার রয়েছে। তবে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার অনেক পরিবারের জন্যই বিরাট এক দুর্যোগ গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ার কারণে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে। বিশেষ করে ইউএসএ, হাঙ্গেরি, ডেনমার্ক, চীন এবং নিউজিল্যান্ডসহ ২৮টি দেশে এই প্রবণতা দেখা গেছে। ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, ''নারীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন। এখন মেয়েরা অনেক বেশি পথেঘাটে বের হচ্ছেন, কর্মজীবী হচ্ছেন অনেকেই সিগারেট বা মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তারা এখন অনেক বেশি পথেঘাটে ধোয়াধুলার মধ্যে কাজ করছেন। বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, অনিয়মিত খাবার বা ফ্যাটি খাবার খাওয়াও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে দুষলেন সু চি ভুয়া ঠিকানায় ভর্তি: ১৫ বছর পাবনা মানসিক হাসপাতালে আলিবাবা'র জ্যাক মা সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য আইফোন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে নিয়ে নতুন সেট তিনি বলছেন, ''বাংলাদেশের নারীরা সবাই ধূমপান না করলেও, নারীদের বড় একটি অংশ ���ানের সঙ্গে জর্দা, সাদাপাতা বা এ ধরণের তামাকজাত খেয়ে থাকেন। সেটাও কিন্তু ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।'' ''একসময় মেয়েদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার বেশি হলেও এখন স্তন ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে।'' আগের তুলনায় ক্যান্সারের মতো রোগে নারীদের সচেতনতা বাড়ায় এ ধরণের ঘটনা বেশি সনাক্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সারের মতো ক্ষেত্রে নারীরা এখন অনেকেই নিয়মিত পরীক্ষা করাচ্ছেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ধরতে না পারা বা সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বড় কারণ। বাংলাদেশে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল মাত্র চারটি ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, অনেক সময় লক্ষণগুলো দেখা দিলেও সেটা অবহেলা করে চিকিৎসকের কাছে আমরা যাই না বা নিজেরাই কোন ওষুধ খেয়ে ফেলি। ফলে পরে যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে ওজন কমে যাওয়া, দুই সপ্তাহের বেশি খুসখুসে কাশি, পায়খানা বা মাসিকের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, হঠাৎ গলা ভেঙ্গে যাওয়া, মাঝে মাঝে জ্বর আসা ইত্যাদি হলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এসব অন্য কারণেও হতে পারে। কিন্তু ক্যান্সার হলে প্রথমদিকেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা মি. তালুকদার বলছেন, বাংলাদেশে এখন সব ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা রয়েছে। হরমোন থেরাপি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে সব ধরণের ওষুধও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন তবে এসব সেবার বেশিরভাগই ঢাকা কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। ঢাকার বাইরে কয়েকটি মেডিকেল কলেজে সীমিত আকারে চিকিৎসা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার জন্য রোগীদের ঢাকায় আসতে হচ্ছে। কয়েকটি সরকারি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতালের বাইরেও বেসরকারি ভাবে অনেক হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে অনেক রোগীর তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা কম হওয়ায় রোগীদের সেবা পেতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় খরচ অনেক কম বলে চিকিৎসকরা বলছেন। তবে আগের তুলনায় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের সচেতন��া বাড়ছে বলে তিনি জানান।", "doc2": "La chimiothérapie est l'une des méthodes de traitement du cancer. L'étude rappelle qu'il y avait 14,1 millions de cas et 8,2 millions de décès causés par le cancer en 2012. La hausse constatée entre 2012 et 2018 résulte en partie d'une population croissante et vieillissante, explique le CIRC, qui est basé à Lyon, en France. Selon l'étude, un homme sur cinq et une femme sur six vont développer la maladie au cours de leur vie, dans les prochaines années. Et à mesure que les pays s'enrichissent, de plus en plus de personnes vont contracter des cancers engendrés par leur mode de vie plutôt qu'à cause de leur état de pauvreté. A lire aussi : Tanzanie : une application pour dépister le cancer du col A lire aussi :Alerte sur le manque d'exercice physique Le Centre international de recherche sur le cancer fournit régulièrement des données sur l'ampleur du cancer dans le monde, dans 185 pays. Ses chercheurs affirment que les méthodes de collecte des données sur le cancer se sont améliorées au fil des ans. Ils font état, en même temps, d'une hausse des taux de cancer et de décès, d'une année à l'autre. Lutte antitabac Selon le dernier rapport du CIRC, le cancer du poumon, le cancer du sein chez les femmes et le cancer de l'intestin représentent un tiers des cas et des décès dans le monde. Les auteurs du rapport affirment que le cancer du poumon est maintenant la principale cause de décès engendrée par la maladie chez les femmes, dans 28 pays. Les pays les plus touchés sont les États-Unis, la Hongrie, le Danemark, la Chine et la Nouvelle-Zélande. Le cancer du poumon est l'un des plus fréquents dans le monde, aux côtés du cancer du sein et du cancer de l'intestin. George Butterworth, de l'organisation humanitaire \"Cancer Research\", au Royaume-Uni, estime que \"le tabac est la principale raison pour laquelle un plus grand nombre de femmes dans le monde sont atteintes du cancer du poumon…\" \"Au Royaume-Uni, le tabagisme est devenu plus fréquent chez les femmes que chez les hommes. Il n'est donc pas surprenant que les taux de cancer du poumon augmentent maintenant. De même, les cigarettes sont de plus en plus utilisées par les femmes dans les pays à faible revenu et à revenu intermédiaire\", a constaté M. Butterworth. Il déplore par ailleurs \"le marketing agressif\" mené par l'industrie du tabac en direction des femmes. Le docteur Freddie Bray, du CIRC, souligne pour sa part \"la nécessité de continuer à mettre en place des politiques ciblées et efficaces de lutte antitabac, dans tous les pays du monde\". ''Une diversité extraordinaire'' L'étude du CIRC estime que près de la moitié des cas et la plupart des décès causés par le cancer dans le monde se produiront cette année en Asie. En partie à cause du grand nombre de personnes vivant sur ce continent qu'ailleurs dans le monde. A lire aussi : Manger des légumes pour éviter le cancer du colon A lire aussi : Idées reçues sur le cancer L'Asie sera plus touchée que les autres parties du monde parce que certains cancers ayant les taux de mortalité les plus élevés sont plus fréquents dans cette région, selon le CIRC. C'est le cas, par exemple, des taux élevés de cancer du foie, en Chine. Les auteurs de l'étude du CIRC affirment qu'il existe une \"extraordinaire diversité\" des types de cancer. A cause de cette diversité, disent-ils, les pays doivent envisager faire des efforts dans la prévention et le traitement du cancer."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53695426", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53714098", "doc1": "লি জিংঝি তার ছেলে। ৩২ বছর পর মা-ছেলের আলিঙ্গন। প্রতি সপ্তাহান্তে জিংঝি এবং তার স্বামী তাদের শিশুপুত্র মাও ইনক নিয়ে কোন চিড়িয়াখানা বা শহরের কোন একটি পার্কে নিয়ে যেতেন। তারা থাকতেন মধ্যচীনের শাংজি প্রদেশের শিয়ান শহরে। তার স্মৃতিতে এরকম একটি বেড়ানোর স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে। \"সেসময় তার বয়স ছিল সাড়ে তিন বছর। আমরা ওকে শিয়ান শহরের চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ও মাটিতে একটি কেঁচো দেখতে পেল। ও বেশ কৌতুহলী হয়ে উঠলো। কেঁচোটি দেখিয়ে বললো, মা, দেখ, একটা কেঁচো। আমি যখন ওকে চিড়িয়াখানা থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছি, ও তখন কেঁচ��টি হাতে ধরে আমার মুখের কাছে নিয়ে এসেছে।\" জিয়া জিয়া মাও ইন ছিল তার একমাত্র সন্তান। চীনের এক সন্তান নীতি তখন পুরোপুরি কার্যকর। কাজেই একের অধিক সন্তান নেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। তিনি চেয়েছেন তার ছেলে খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করবে এবং সফল হবে। কাজেই তিনি তার ডাক নাম রাখলেন জিয়া জিয়া, যার মানে মহৎ। ঝিংজি বলেন, \"জিয়া জিয়া ছিল খুব শান্ত এবং বাধ্য ছেলে। স্মার্ট। খুব বুঝদার। ও খুব একটা কাঁদতো না। ও ছিল খুবই প্রাণবন্ত এবং আদুরে। ও ছিল এমন এক শিশু যাকে যেই দেখতো সে-ই পছন্দ করতো।\" ঝিংজি এবং তার স্বামী সকালে ছেলেকে একটি কিন্ডারগার্টেনে দিয়ে আসতেন। এরপর দিনের কাজ শেষে আবার সেখান থেকে তুলতেন। \"প্রতিদিন আমার কাজ শেষ হওয়ার পর আমি আমার ছেলের সঙ্গে খেলতাম। আমি খুবই সুখী ছিলাম।\" লি ঝিংজি এবং তার ছেলে মাও ইন (জিয়া জিয়া)) ঝিংজি কাজ করতেন একটি শস্য রফতানিকারক কোম্পানির সঙ্গে। যখন ফসল তোলার সময় হতো, তখন তাকে শহর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে যেতে হতো খাদ্যশস্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করতে। জিয়া জিয়া তখন বাড়িতে তার বাবার সঙ্গে থাকতো। একদিন এরকম এক সফরে তিনি তার কর্মচারীদের কাছ থেকে একটি খবর পেলেন। তাকে দ্রুত ফিরে আসতে বলা হলো। \"সেসব দিনে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেই ভালো ছিল না\", বলছিলেন ঝিংজি। \"কাজেই আমার কাছে মাত্র ছয় শব্দের একটি টেলিগ্রাম এসেছিল। তাতে লেখা, বাড়িতে জরুরী দরকার, এক্ষুনি ফিরে আসো'। আমি জানতাম না কী ঘটেছে।\" ঝিংজি দ্রুত শিয়ানে ফিরে আসলেন। সেখানে একজন ম্যানেজার তাকে সেই ভয়ংকর খবরটি দিল। \"আমার নেতা আমাকে কেবল একটা কথাই বললেন, 'তোমার ছেলে নিখোঁজ।\" আমার অন্তর যেন শূন্য হয়ে গেল। আমার মনে হচ্ছিল হয়তো আমার ছেলে কোথাও হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমার একবারও মনে হয়নি, আমার ছেলেকে আর কখনো খুঁজে পাবো না।\" ১৯৮৮ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা এটি। জিয়া জিয়ার বয়স তখন মাত্র ২ বছর ৮ মাস। জিয়া জিয়া জিংঝির স্বামী বলছিলেন, তিনি জিয়া জিয়াকে কিন্ডারগার্টেন থেকে তুলে নিয়ে আসেন। পথে তিনি থেমেছিলেন তাদের পারিবারিক মালিকানাধীন একটি ছোট্ট হোটেল থেকে ছেলের জন্য খাবার পানি সংগ্রহের জন্য। মাত্র এক-দুই মিনিটের জন্য হয়তো তিনি ছেলেকে বাইরে রেখে গিয়েছিলেন। যখন ফিরলেন, সেখানে জিয়া জিয়া নেই। জিংঝি ভেবেছিলেন, ছেলেকে দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাবে। \"আমি ভে��েছিলাম আমার ছেলে হয়তো হারিয়ে গেছে। ও হয়তো তার বাড়ির পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কোন দয়ালু লোক হয়তো তাকে খুঁজে পাবে এবং আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনবে।\" কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। কেউ তাকে খুঁজে পেল না, তখন জিংঝি বুঝতে পারলেন পরিস্থিতি বেশ জটিল। হোটেলটির আশে-পাশের এলাকায় গিয়ে তিনি জনে জনে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন, জিয়া জিয়াকে কেউ দেখেছে কীনা। তিনি জিয়া জিয়ার ছবিসহ এক লাখ লিফলেট ছাপালেন। শিয়ানের রেল স্টেশন এবং বাস স্টেশনে গিয়ে তিনি লিফলেট বিলি করলেন। স্থানীয় কাগজে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিলেন। কিন্তু কোন কাজ হলো না। \"আমার মনে যে তখন কী তীব্র কষ্ট.. আমার কান্না পাচ্ছিল, আমার চিৎকার করতে কাঁদতে ইচ্ছে করছিল। আমার মনে হচ্ছিল, আমার হৃদয়টা ফাঁকা হয়ে গেছে।\" ছেলের কাপড়-চোপড় দেখলে তখন তার কান্না পেত। ছেলের জুতা, খেলনা- এসব দেখে তার কান্না পেত। চীনে তখন শিশু পাচারের ঘটনা যে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা জানতেন না জিংঝি। চীনে এক সন্তান নীতি চালু হয় ১৯৭৯ সালে। এর উদ্দেশ্য ছিল চীনের দ্রুত বাড়তে থাকা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং দারিদ্র বিমোচন করা। শহরে বাস করেন যেসব দম্পতি, তারা কেবল একটি সন্তান নিতে পারবেন। তবে যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন, তাদের প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয়, তাহলে তারা দ্বিতীয় একটি সন্তান নিতে পারবেন। যেসব দম্পতি আশা করেছিলেন যে তাদের একটি পুত্র সন্তান হবে এবং পরিবারের নাম ধরে রাখবে, বৃদ্ধ বয়সে তাদের যত্ম নেবে, তাদের সামনে পুত্র্র সন্তানের চেষ্টা করার আর কোন উপায় রইলো না। যদি তারা একের অধিক সন্তান নেন, তাদের বিরাট অংকের জরিমানা করা হবে। তাদের দ্বিতীয় সন্তানকে সব ধরণের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। মনে করা হয়, সরকারের এই নীতির ফলে শিশু অপহরণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ছেলে শিশু। কিন্তু এর কিছুই আসলে জিংঝি জানতেন না। \"কখনো কখনো টেলিভিশনে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞপ্তি থাকতো। কিন্তু আমি জানতাম না যে এসব শিশুকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেয়া হয়। আমার কেবল ধারণা ছিল, তারা আসলে হারিয়ে গেছে।\" জিয়া জিয়া হারিয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই তিনি দোষ দিলেন তার স্বামীকে। কিন্তু পরে তিনি উপলব্ধি করলেন, ছেলেকে খুঁজে পেতে হলে তাদের দুজনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সময় যত গড়াতে লাগলো, তারা এটি নিয়ে এতটাই ঘোরের মধ্যে চলে গেলেন যে ���ারা আর কিছু নিয়ে কখনো কথা বলতেন না। চার বছর পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেল। জিংঝি কিন্তু কখনো তার ছেলেকে খোঁজা বন্ধ করেন নি। প্রতি শুক্রবার বিকেল কাজ শেষ করে তিনি ট্রেনে চেপে চলে যেতেন আশে-পাশের বিভিন্ন প্রদেশে। জিয়া জিয়াকে খুঁজতে। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরতেন যাতে আবার পরদিন কাজে ফিরতে পারেন। যখনই তিনি কোন নতুন তথ্য বা সূত্র পেতেন, তার ছেলে জিয়া জিয়ার মতো দেখতে কোন শিশুকে কেউ দেখেছে, তিনি ছুটে যেতেন তদন্ত করতে। আরও পড়ুনঃ চীনের এক সন্তান নীতি,কেটির বদলে যাওয়া জীবন উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট চীনের বিশাল জনসংখ্যা আরো বাড়তে শুরু করেছে যেবছর জিয়া জিয়া নিখোঁজ হয়েছিল, সেবছরই এরকম এক লম্বা সফরে যান জিংঝি। শাংজি প্রদেশের আরেকটি শহরে তাকে যেতে হয়েছিল অনেক দীর্ঘ বাস জার্নি করে। সেখান থেকে আরেকটি বাসে চেপে তিনি যাচ্ছিলেন এক গ্রামের দিকে। সেখানে নাকি এক দম্পতি শিয়ান শহরের এক শিশুকে দত্তক নিয়েছে, যে দেখতে অবিকল জিয়া জিয়ার মতো। সেই গ্রামে গিয়ে সারাদিন অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কখন গ্রামের লোক ফসলের ক্ষেত থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে, সেই অপেক্ষায়। কিন্তু সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারলেন, এই দম্পতি নাকি ছেলেটিকে নিয়ে শিয়ান শহরে গিয়েছে। জিংঝি সাথে সাথে আবার ফিরতি পথ ধরলেন। পরদিন সকালে ফিরে আসলেন নিজ শহরে। এই দম্পতি যে ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকে, সেই ফ্ল্যাটটি খোঁজা শুরু করলেন। কিন্তু বাড়িওয়ালা জানালো, তারা মাত্র দুদিন আগে সেখান থেকে অন্য শহরে চলে গেছে। জিংঝি এবার দ্রুত ছুটলেন সেই শহরে। যতক্ষণে সেখানে পৌঁছালেন, তখন রাত হয়ে গেছে। কয়েক ঘন্টা ধরে তিনি শহরটির এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলে ছুটছিলেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য। শেষ পর্যন্ত তাদের হোটেলটি যখন খুঁজে পেলেন, ততক্ষণে সেই হোটেল ছেড়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়লেন না জিংঝি। তখন প্রায় মধ্যরাত। তিনি সেখান থেকে আরেক শহরে গেলেন এই লোকটির বাবা-মাকে খুঁজে বের করতে। সেখানেও তাদের পাওয়া গেল না। এবার তিনি স্ত্রীলোকটির নিজ শহরে যেতে চাইলেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। দুদিন ঘুমাননি। ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করেননি। একটু বিশ্রাম নিয়ে তিনি আবার ছুটলেন। এবার সেখানে পৌঁছে তিনি স্ত্রীলোকটি এবং তার শিশুটিকে খুঁজে পেলেন। কিন্তু তাকে হতাশ হতে হলো। তাদের দত্তক নেয়া শিশুটি জিয়া জিয়া নয়। \"আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে, এই শিশুটি জিয়া জিয়া। আমাকে হতাশ হতে হলো। আমার ওপর এর একটা বিরাট প্রভাব পড়লো। এরপর আমি যেন সারাক্ষণ আমার ছেলের গলা শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার মায়ের ভয় হতে লাগলো যে, আমি হয়তো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।\" প্রতিদিন সকালে যখন তার ঘুম ভাঙ্গতো, প্রথমেই তার মনে হতো ছেলের কথা। রাতে তিনি স্বপ্ন দেখতেন, তার ছেলে 'মা','মা' করে কাঁদছে। তার এক বন্ধু ছিল ডাক্তার। তার পরামর্শে জিংঝি হাসপাতালে ভর্তি হলেন। \"একজন ডাক্তার আমাকে এমন কিছু বলেছিল, যা আমার মনে বিরাট ছাপ ফেলেছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'আমি তোমার শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা করতে পারি। কিন্তু তোমার মনের চিকিৎসা, সেটা কিন্তু তোমার ওপর।' তার এই কথা নিয়ে আমি সারারাত ভাবলাম। আমি অনুভব করলাম যে এভাবে চলা সম্ভব নয়। আমি যদি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, আমি হয়তো উন্মাদ হয়ে যাব। আর আমি যদি পাগল হয়ে যাই, তাহলে তো আর আমার ছেলেকে খুঁজতে যেতে পারবো না। অথবা আমার ছেলে যদি ফিরে এসে দেখে তার মা পাগল হয়ে গেছে, সেটা তার জন্য খুবই বেদনাদায়ক হবে।\" এরপর থেকে জিংঝি সচেতনভাবে চেষ্টা করতেন যাতে কোনভাবেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়েন। যাতে তিনি ছেলের সন্ধানে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। এদিকে জিংঝির বোন জিয়া জিয়ার সব কাপড়চোপড় আর খেলনা বেঁধে তুলে রাখলেন। কারণ এগুলো দেখলেই জিংঝির মানসিক যন্ত্রণা শুরু হতো। এরই মধ্যে জিংঝি উপলব্ধি করলেন, তিনি একা নন, তার মতো আরও বহু বাবা-মা তাদের নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ করছে। শুধু শিয়ান শহরে নয়, চীনের আরও দূর-দূরান্তে। চীনের প্রায় সব প্রদেশের এরকম বাবা-মারা মিলে তখন তারা একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললেন । তারা একে অন্যের কাছে লিফলেট ভর্তি ব্যাগ পাঠাতেন। এরপর এসব লিফলেট বিলি করতেন। এই নেটওয়ার্ক থেকে আরও অনেক সূত্রের সন্ধান পাওয়া গেল। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, কোনটি থেকেই আসলে জিয়া জিয়াকে খুঁজে পাওয়া গেল না। ছেলেকে খুঁজতে জিংঝি সব মিলিয়ে চীনের দশটি প্রদেশ সফর করেন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর যখন ১৯ বছর পেরিয়ে গেছে, জিংঝি একটি ওয়েবসাইটের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ শুরু করলেন। এই ওয়েবসাইটের নাম, 'বেবি কাম হোম।' যেসব বাবা-মার সন্তান নিখোঁজ, তাদে�� নিখোঁজ সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয় এই ওয়েবসাইট। \"এরপর আমার আর নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছিল না। আমাদের সন্তানদের খুঁজে পেতে কত কত স্বেচ্ছাসেবক যে এখানে কাজ করছিল। এদের কাজ আমাকে খুব নাড়া দিল\", বলছিলেন জিংঝি। \"আরেকটা সুবিধাও ছিল। আমি ভাবছিলাম, যদি আমার ছেলেকে খুঁজে নাও পাওয়া যায়, আমি অন্য ছেলেদের অন্তত তাদের নিজের পরিবারে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারবো।\" এরপর ২০০৯ সালে চীন সরকার একটি ডিএনএ ডেটাবেজ স্থাপন করলো। যেসব দম্পতির সন্তান নিখোঁজ হয়ে গেছে তারা এবং যেসব ছেলে-মেয়ে মনে করে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল তারা এখানে তাদের ডিএনএ রাখতে পারে। এটা ছিল এক বিরাট পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে এরকম অনেক নিখোঁজ রহস্যের মীমাংসা হয়েছিল। জিংঝি যত শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা শুনেছেন, তার বেশিরভাগই ছিল ছেলে শিশু। যেসব দম্পতি এরকম শিশু কেনে, তারা নিঃসন্তান। বা হয়তো তাদের কন্যা সন্তান আছে, ছেলে নেই। এদের বেশিরভাগই সাধারণত চীনের গ্রামাঞ্চলের। 'বেবি কাম হোম' ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সংগঠনের মাধ্যমে জিংঝি এপর্যন্ত ২৯জন ছেলে-মেয়েকে তাদের বাবা-মার সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরেছেন। তিনি বলছেন, বাবা-মার সঙ্গে সন্তানদের পুনর্মিলনের এই দৃশ্য দেখার অনুভূতি বর্ণনা করা কঠিন। \"আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম: এটা আমার ছেলে কেন হলো না? কিন্তু যখন আমি দেখতাম অন্য বাবা-মারা তাদের সন্তানকে আলিঙ্গন করছে, তখন আমার খুব ভালোও লাগতো। আমার মনে হতো, এদের যদি এরকম সৌভাগ্য হতে পারে, একদিন আমারও হবে। আমি আশাবাদী হয়ে উঠতাম। ওদের ছেলে-মেয়েকে ফিরে আসতে দেখে আমার আশা জাগতো, একদিন আমার ছেলেও আমার কাছে ফিরে আসবে।\" তবে এরকম অনেক সময় আসতো, যখন তিনি একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়তেন। \"যখনই কোন সূত্র ধরে এগিয়ে দেখতাম যে আসলে সেটা ঠিক ছিল না, তখন হতাশ হতাম। কিন্তু আমি বার বার হতাশ হতে চাইছিলাম না। যদি আমি বার বার হতাশায় আক্রান্ত হই, আমার পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হতো। কাজেই আমি আশা ছাড়লাম না।\" তার বৃদ্ধা মাও তার মধ্যে আশা জাগিয়ে রাখতে সাহায্য করলেন। \"আমার মা ২০১৫ সালে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি সবসময় জিয়া জিয়ার কথা মনে করতেন। একবার আমার মা আমাকে বললেন, তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, জিয়া জিয়া ফিরে এসেছে। তিনি বলছিলেন, প্রায় ৩০ বছর হয়ে গেল, ওর এখন ফেরা উচিৎ।\" মৃত্যুর আগে যখন তার মা অচেতন হয়ে পড়েছেন, তখন জিংঝি বুঝতে পারছিলেন, তার মা হয়তো জিয়া জিয়ার কথা ভাবছে। \"আমি আমার মায়ের কানে ফিসফিস করে বলেছিলাম, মা চিন্তা করো না, আমি নিশ্চয়ই জিয়া জিয়াকে খুঁজে পাবো। এটি শুধু আমার নিজের ইচ্ছে পূরণের জন্য নয়, আমার মায়ের ইচ্ছেও আমি পূরণ করতে চেয়েছিলাম। আমার মা মারা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ১৫ই জানুয়ারি। চন্দ্র বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী, সেদিন ছিল জিয়া জিয়ার জন্মদিন। আমার মনে হলো ঈশ্বর যেন এভাবেই আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আমি যেন আমার জন্মদাত্রী মাকে এবং সেই সঙ্গে আমি যে সন্তানকে জন্ম দিয়েছি, তাদের কাউকে ভুলে না যাই। একই দিনে একজন বিদায় নিয়েছিলেন, আরেকজন জন্মগ্রহণ করেছিল।\" তারপর এবছরের ১০ই মে, মা দিবস তিনি একটি ফোন কল পেলেন। এটি এসেছিল শিয়ান শহরের জননিরাপত্তা ব্যুরো থেকে। তারা একটি অসম্ভব ভালো খবর দিল: \"মাও ইনকে খুঁজে পাওয়া গেছে।\" \"আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা বাস্তব\", বলছিলেন জিংঝি। এপ্রিল মাসে তাকে একজন একটা তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি এমন একজনকে চেনেন, যাকে নাকি বহু বছর আগে শিয়ান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরিণত বয়সের একটা ছবি এই লোকটি জিংঝিকে দিলেন। জিংঝি এই ছবিটি পুলিশের কাছে নিয়ে গেলেন। ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি দিয়ে পুলিশ খুঁজে বের করলো ছবির লোকটিকে। তিনি থাকেন পাশ্ববর্তী প্রদেশ সিচুয়ানের চেংডু শহরে। প্রায় সাতশো কিলোমিটার দূরে। পুলিশ এই লোকটিকে একটি ডিএনএ টেস্ট করাতে রাজী করাতে পারলো। ১০ই মে এই ডিএনএ পরীক্ষার ফল জানা গেল। তার ডিএনএ মিলে গেল জিংঝির সঙ্গে। পরের সপ্তাহে পুলিশ আরেক দফা রক্তের নমূনা সংগ্রহ করে আবার ডিএনএ পরীক্ষা করলো। এবারও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলো, জিংঝি এবং এই লোকটি মা এবং ছেলে। \"যখন আমি ডিএনএ পরীক্ষার ফল পেলাম, তখনই আমি সত্যি সত্যি বিশ্বাস করলাম যে আমার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গেছে।\" অন্তত ৩০০ বার ভুল সূত্রের পেছনে ঘুরে, ৩২ বছর পর অবশেষে ছেলের জন্য জিংঝির অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘটলো। মা-ছেলের পুর্নমিলনের দিন নির্ধারিত হলো ১৮ই মে, সোমবার। জিংঝি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তার ছেলে তাকে কতটা অনুভব করবে। ছেলে এখন প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ, বিবাহিত। তার নিজের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের ব্যবসা আছে। \"আমাদের দেখা হওয়ার আগে আমার মধ্যে অনেক দুশ্��িন্তা কাজ করছিল। ও হয়তো আমাকে স্বীকার করবে না, আমাকে গ্রহণ করবে না। হয়তো ওর মনে আর আমার জায়গা নেই, আমাকে একদম ভুলে গেছে। আমার ভয় লাগছিল, আমি যখন আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে যাব, ও হয়তো আমাকে জড়িয়ে ধরতে দেবে না। আমার মনে হচ্ছিল,যে ছেলেকে আমি ৩২ বছর ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি, আমার আলিঙ্গন এবং ভালোবাসা যদি সে গ্রহণ না করে, তখন আমি আরও বেশি কষ্ট পাব।\" জিংঝি যেহেতু নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ছেলে-মেয়েদের সমস্যা নিয়ে প্রায়শই টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতেন, তার ঘটনাটি অনেকেই জানতো। তাই ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার খবরটি চীনের গণমাধ্যমে চাঞ্চল্য তৈরি করলো। যেদিন মা-ছেলের পুর্নমিলন ঘটলো, সেদিন চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) এটি লাইভ সম্প্রচার করে। জিয়া জিয়া যখন শিয়ানের জননিরাপত্তা ব্যুরোর অনুষ্ঠান হলে ঢুকছেন, তিনি 'মা' বলে চিৎকার করে ডাকলেন তার মাকে। এরপর দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন তার মাকে। মা, ছেলে, বাবা- সবাই তখন কাঁদছেন, সবার চোখে পানি। ৩২ বছর পর মা-ছেলের আলিঙ্গনের মূহূর্ত লাইভ দেখানো হয় টিভিতে \"ছোটবেলায় ও ঠিক এভাবেই আমার দিকে দৌড়ে আসতো\", বলছিলেন জিংঝি। জিংঝি পরে জানতে পেরেছিলেন, জিয়া জিয়াকে অপহরণের এক বছর পর সিচুয়ান প্রদেশের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল ৬ হাজার ইউয়ানে। তার দত্তক বাবা-মা তার নতুন নাম রেখেছিল গু নিংনিন। একমাত্র সন্তান হিসেবে তিনি সেই পরিবারে বড় হন। সেখানে তিনি প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুলে যান। এরপর পড়াশোনা করেন চেংডুর কলেজে। আজব ব্যাপার হচ্ছে, তিনি টেলিভিশনে তার মা জিংঝিকে দেখেছেন। তার মনে হয়েছে এই নারী খুবই স্নেহময়ী। জিংঝি যখন টেলিভিশনে তার ছেলের ছোটবেলার ছবি দেখাচ্ছিল, তখন তার এটাও মনে হয়েছে, এই ছবির সঙ্গে তার ছোটবেলার ছবির অনেক মিল। কিন্তু তারপরও তাদের দুজনের মধ্যে যে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে সেটা তার মনে হয়নি। কিন্তু যে লোকটি মা-ছেলের মধ্যে পুর্নমিলনের সূত্রটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। বাবা এবং মায়ের সঙ্গে পুর্নমিলনের পর জিয়া জিয়া দুজনের এই পুর্নমিলনের পর জিয়া জিয়া একমাস শিয়ান শহরে পালাক্রমে তার মা এবং বাবার সঙ্গে থেকেছেন। এসময় মা-ছেলে তাদের পুরোনো ছবি দেখেছেন। তারা আশা করছিলেন, এসব ছবি দেখে জিয়া জিয়া তার শৈশবের কথা মনে করতে পার��েন। কিন্তু জিয়া জিয়া আসলে তার চার বছর বয়সের আগের কোন স্মৃতিই মনে করতে পারেন না। জিংঝি বলেন, \"এই বিষয়টাই আমার জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টের। আমার ছেলে যখন ফিরে আসলো, আমি চেয়েছিলাম আমাদের সঙ্গে যখন ও ছিল, সে সময়ের একটা স্মৃতি যেন ও মনে করতে পারে। কিন্তু সেরকম কিছু এখনো ও মনে করতে পারেনি‍।\"‍ ছেলের সঙ্গে তোলা যে ছবিটি জিংঝির সবচেয়ে প্রিয়। একদিন শিয়ানের একটা সুন্দর জায়গায় বেড়াতে গিয়ে জিংঝি নিজেও উপলব্ধি করলেন, অতীতকে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। \"সেদিন আমরা একটা পাহাড়ে বেড়াতে যাই। ফেরার সময় আমি বলি, জিয়া জিয়া, আসো, আমি তোমাকে কোলে করে নামাই। কিন্তু আমি তো এখন আর ওকে কোলে নিতে পারি না, ও তো অনেক বড়।\" \"আমার মনে হচ্ছিল, ও যদি আবার আমার কাছে ফিরে আসে, আমরা আমার নতুন করে শুরু করতে পারি, যখন ও শিশু ছিল তখন থেকে। আমরা আমাদের গত ৩২ বছরের শূন্যতা পূরণ করতে পারি। আমি আমার ছেলেকে বলছিলাম, জিয়া জিয়া, তুমি কি আবার একেবারে ছোট্টটি হয়ে যেতে পারো? তুমি আবার ২ বছর ৮ মাস থেকে শুরু করবে, আমি শুরু করবো ২৮ বছর থেকে। আসো, আমরা আবার নতুন করে জীবন শুরু করি। কিন্তু জিংঝি জানেন, এটা সম্ভব নয়। জিয়া জিয়া এখনো চেংডুতেই থাকেন। আর মা জিংঝি থাকেন শিয়ানে। অনেকেই তাকে উপদেশ দিয়েছে, তিনি যেন ছেলেকে শিয়ানে ফিরে আসতে রাজী করান। যদিও এরকমটা হলে জিংঝি খুশিই হবেন, কিন্তু ছেলের জীবনে তিনি জটিলতা সৃষ্টি করতে চান না। \"ও এখন একজন পরিণত মানুষ। ওর নিজের চিন্তা-ভাবনা আছে। জিয়া জিয়া বিয়ে করেছে। তার নিজের পরিবার আছে। ওর জন্য আমার শুভকামনা, দূর থেকে। আমি এখন জানি আমার ছেলে কোথায় আছে। আমি জানি, ও বেঁচে আছে। তাতেই আমি খুশি।\" মা আর ছেলের মধ্যে এখন প্রতিদিন কথা হয় উইচ্যাটে, চীনের সবচয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। \"আমার ছেলের ব্যক্তিত্ব একদম আমার মতই। ও আমার জন্য অনেক ভাবে। আমিও ওকে নিয়ে অনেক চিন্তা করি। এত বছর পরেও এখনো আমার প্রতি ওর ভালোবাসা আছে। আমার মনে হয়, আমরা যেন কখনো বিচ্ছিন্ন হইনি। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ।\" জিয়া জিয়া কোন সাক্ষাৎকার দিতে চান না। তার দত্তক বাবা-মার ব্যাপারে কোন তথ্যও পুলিশ প্রকাশ করছে না। ৩২ বছর আগে কে জিয়া জিয়াকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাকে একদিন পুলিশ খুঁজে বের করবে বলে আশা করেন জিংঝি। তিনি চান, এই দুস্কৃতকারী সাজা পাক, যে তার ৩২ বছরের যন্ত্রণ��র জন্য দায়ী। এখন তিনি তার ফিরে পাওয়া ছেলের সঙ্গে নতুন স্মৃতি তৈরি করতে ব্যস্ত। পুর্নমিলনের পর তারা বহু ছবি তুলেছেন। তার প্রিয় ছবি হচ্ছে সেটি, যেটি তারা পুর্নমিলনের একদিন পর একসঙ্গে তুলেছিলেন। তখন তারা একটি পার্কে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই ছবিতে মা আর ছেলে পাশাপাশি, দুজনকে দেখে মনে হবে হুবহু একই চেহারা। দুজনের মুখেই পুর্নমিলনের খুশির আভা। জিংঝি বলছেন, গত কয়েক বছরে চীনা সরকার এবং চীনা গণমাধ্যমের প্রচেষ্টায় শিশু অপহরণের ঘটনা অনেক কমে এসেছে। কিন্তু এখনো অনেক পরিবার আছে, যারা তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে খুঁজছে। অনেকে তাদের জন্মদাতা পিতা-মাতাকে খুঁজছে। কাজেই জিংঝির সামনে এখনো অনেক কাজ। (এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ছবি লি জিংঝির সৌজন্যে)", "doc2": "Li Jingzhi et son fils s'embrassent pour la première fois depuis 32 ans Le week-end, Jingzhi et son mari emmenaient leur enfant Mao Yin au zoo ou dans l'un des nombreux parcs de leur ville, Xi'an, la capitale de la province du Shaanxi, en Chine centrale. Et l'une de ces sorties est restée particulièrement vivante dans sa mémoire. \"Il avait environ un an et demi à l'époque. Nous l'avions emmené au zoo de la ville de Xi'an. Il a vu un ver sur le sol. Il était très curieux et a montré le ver en disant : \"Maman, ver ! Et quand je l'ai sorti du zoo, il avait le ver dans sa main et l'a mis près de mon visage\", dit Jingzhi. Mao Yin était son seul enfant - la politique de l'enfant unique en Chine battait son plein, il n'était donc pas question d'en avoir d'autres. Elle voulait qu'il étudie dur et qu'il réussisse, c'est pourquoi elle l'a surnommé Jia Jia, ce qui signifie \"grand\". \"Jia Jia était un enfant très bien élevé, intelligent, obéissant et sensé. Il n'aimait pas pleurer. Il était très vif et adorable. Il était le genre d'enfant que tout le monde aimait\", dit Jingzhi. Elle et son mari le déposaient dans une école maternelle le matin et venaient le chercher après le travail. \"Tous les jours, après avoir quitté le travail, je jouais avec mon enfant\", dit Jingzhi. \"J'étais très heureuse.\" Jingzhi travaillait pour une entreprise d'exportation de céréales et, au moment de la récolte, elle devait quitter la ville pendant plusieurs jours pour rendre visite à des fournisseurs dans la campagne. Jia Jia restait à la maison avec son père. Lors d'un de ces voyages, elle a reçu un message de ses employeurs lui disant de revenir de toute urgence. \"À cette époque, les télécommunications n'étaient pas très avancées\", explique Jingzhi. \"Alors tout ce que j'ai reçu, c'est un télégramme de six mots : \"Urgence à la maison ; revenez tout de suite. Je ne savais pas ce qui s'était passé.\" Elle s'est dépêchée de retourner à Xi'an, où un directeur lui a donné une nouvelle dévastatrice. \"Notre chef a dit une phrase : 'Votre fils a disparu'\", dit Jingzhi. \"Mon esprit s'est éteint. J'ai pensé qu'il s'était peut-être perdu. Il ne m'est pas venu à l'esprit que je ne pourrais pas le retrouver.\" C'était en octobre 1988, et Jia Jia avait deux ans et huit mois. Le mari de Jingzhi a expliqué qu'il avait récupéré Jia Jia à l'école maternelle et qu'il s'était arrêté sur le chemin du retour pour lui offrir un verre d'eau dans un petit hôtel appartenant à la famille. Il n'avait laissé l'enfant qu'une ou deux minutes pour refroidir l'eau, et quand il s'est retourné, Jia Jia n'était plus là. Jingzhi a supposé qu'on le retrouverait rapidement. \"J'ai pensé que mon fils était peut-être perdu et qu'il ne pouvait pas retrouver le chemin de la maison et que des gens bienveillants le trouveraient et me le ramèneraient\", dit-elle. Mais quand une semaine s'est écoulée, et que personne ne l'a emmené au poste de police, elle a su que la situation était grave. Elle a commencé à demander si quelqu'un avait vu Jia Jia dans le quartier de l'hôtel. Elle a imprimé 100 000 tracts avec sa photo et les a distribués dans les gares ferroviaires et routières de Xi'an, et a fait paraître des annonces de disparition dans les journaux locaux. Tout cela sans succès. \"J'ai eu mal au coeur... J'avais envie de pleurer. J'avais envie de crier\", dit Jingzhi. \"J'avais l'impression que mon coeur avait été vidé.\" Elle pleurait quand elle voyait les vêtements de son fils disparu, ses petites chaussures et les jouets avec lesquels il s'amusait. À l'époque, Jingzhi ne savait pas que la traite des enfants était un problème en Chine. La politique de l'enfant unique avait été introduite en 1979 dans le but de contrôler la taille de la population chinoise en pleine croissance et de réduire la pauvreté. Les couples vivant dans les villes pouvaient avoir un seul enfant, tandis que ceux des zones rurales pouvaient en avoir un deuxième si le premier était une fille. A 67 ans une Chinoise devient maman Un bébé est né quatre ans après la mort de ses parents Comment la Chine a réduit les naissances par césarienne Les couples qui voulaient un fils pour porter le nom de famille et s'occuper d'eux dans la vieillesse ne pouvaient plus continuer à essayer d'avoir un garçon ; ils étaient passibles de lourdes amendes et leurs enfants supplémentaires se voyaient refuser les prestations sociales. On pense que cette politique a contribué à l'augmentation du nombre d'enlèvements d'enfants, en particulier de garçons. Mais Jingzhi ne savait rien de tout cela. \"Parfois à la télévision, il y avait des avis de disparition d'enfants, mais je n'ai jamais pensé qu'ils avaient été enlevés et vendus. J'ai juste pensé qu'ils étaient perdus\", dit-elle. Son premier réflexe, en apprenant la disparition de Jia Jia, a été de blâmer son mari. Puis elle a réalisé qu'ils devraient travailler ensemble pour retrouver leur fils. Mais au fil du temps, leur obsession les a amenés à parler rarement d'autre chose, et au bout de quatre ans, ils ont divorcé. Mais Jingzhi n'a jamais cessé de chercher. Chaque vendredi après-midi, une fois son travail terminé, elle prenait le train pour les provinces environnantes afin de chercher Jia Jia, et rentrait à la maison le dimanche soir, prête à reprendre le travail le lundi matin. Chaque fois qu'elle avait une piste - des nouvelles sur un garçon qui ressemblait peut-être à Jia Jia,- elle allait enquêter. En Chine: des enfants nés à partir d'embryons congelés Au cours d'un voyage plus long que d'habitude, l'année même où Jia Jia a disparu, elle a pris un bus longue distance pour une autre ville du Shaanxi, puis un bus pour la campagne à la recherche d'un couple qui aurait adopté un garçon de Xi'an ressemblant à Jia Jia. Mais après avoir attendu le soir que les villageois reviennent des champs, elle a appris que le couple avait emmené le garçon à Xi'an. Elle s'est donc empressée de rentrer, arrivant au petit matin. Elle a ensuite passé des heures à chercher l'appartement que le couple louait, pour apprendre par le propriétaire qu'ils étaient partis deux jours plus tôt pour une autre ville. Elle s'est donc précipitée dans cette ville et, une fois arrivée, elle a passé des heures à aller d'un hôtel à l'autre pour essayer de les retrouver. Lorsqu'elle a finalement trouvé le bon hôtel, le couple avait déjà quitté l'hôtel. Même à ce moment-là, elle n'a pas abandonné. Bien que ce soit à nouveau le milieu de la nuit, elle s'est rendue dans une autre ville pour trouver les parents du mari, mais le couple n'était pas là. Elle voulait aller directement dans la ville natale de la femme, mais à ce stade, elle avait passé plus de deux jours sans dormir correctement ni manger convenablement. A lire aussi : Après s'être reposée, elle est partie à la recherche de la femme et de l'enfant. Mais à sa grande déception, le garçon n'était pas son fils. \"J'étais persuadée que cet enfant était Jia Jia. J'ai été très déçue. Cela a eu un impact énorme sur moi. Après, j'ai continué à entendre la voix de mon fils. Ma mère avait peur que je fasse une dépression nerveuse\", dit Jingzhi. Son fils était la première chose à laquelle elle pensait quand elle se réveillait chaque matin, et la nuit, elle rêvait qu'il pleurait \"Maman, maman !\" - comme il l'avait fait auparavant, chaque fois qu'elle le quittait. A lire aussi : Sur les conseils d'un ancien camarade de classe qui était médecin, elle s'est rendue à l'hôpital. \"Un médecin a dit quelque chose qui m'a beaucoup marqué. Il m'a dit : \"Je peux vous soigner pour vos maladies physiques, mais pour la maladie de votre cœur, c'est vous qui décidez\". Ses paroles m'ont fait réfléchir toute la nuit. Je sentais que je ne pouvais pas continuer comme ça. Si je n'essayais pas de contrôler mes émotions, je pourrais vraiment devenir folle. Si je devenais folle, je ne pourrais pas sortir pour chercher mon enfant et un jour, si mon enfant revenait et voyait une mère folle, ce serait si pitoyable pour lui\", dit Jinghzi. A partir de ce moment, elle a fait un effort pour éviter de s'énerver, et pour concentrer toute son énergie sur la recherche. Pendant ce temps, la soeur de Jingzhi a rangé tous les vêtements et les jouets de Jia Jia dans une boîte, car leur vue lui causait un grand chagrin. À cette époque, Jingzhi s'est rendu compte qu'il y avait de nombreux parents dont les enfants avaient disparu, non seulement à Xi'an mais aussi dans d'autres régions, et elle a commencé à travailler avec eux. Ils ont formé un réseau couvrant la plupart des provinces de Chine. Ils s'envoyaient de grands sacs de tracts et les postaient dans les provinces dont ils étaient responsables. Le réseau a également généré de nombreuses autres pistes, mais malheureusement aucune n'a débouché sur Jia Jia. En tout, Jingzhi a visité dix provinces chinoises dans le cadre de sa recherche. A lire aussi : Un orphelinat soupçonné de traite d'enfants en RDC Des élèves enlevés dans un collège de Lagos Alors que son fils avait déjà disparu depuis 19 ans, Jingzhi a commencé à travailler comme bénévole sur le site web \"Baby Come Home\", qui aide à réunir les familles avec leurs enfants disparus. \"Je ne me sentais plus seule. Il y avait tellement de bénévoles qui nous aidaient à retrouver nos enfants - je me suis sentie très touchée par cela\", dit Jingzhi. Il y avait aussi un autre avantage : \"J'ai pensé que même si mon enfant n'est pas retrouvé, je peux aider d'autres enfants à retrouver leur foyer.\" Puis, en 2009, le gouvernement chinois a mis en place une base de données ADN, où les couples ayant perdu un enfant et les enfants qui suspectent d'avoir été enlevés peuvent enregistrer leur ADN. Ce fut un grand pas en avant, qui a permis de résoudre des milliers de cas. La plupart des enfants disparus dont Jingzhi a entendu parler sont de sexe masculin. Les couples qui les achètent sont sans enfant, ou ont des filles mais pas de fils, et la plupart d'entre eux viennent de la campagne. Grâce à son travail avec Baby Come Home et d'autres organisations au cours des deux dernières décennies, Jingzhi a contribué à mettre 29 enfants en contact avec leurs parents. Elle dit qu'il est difficile de décrire les sentiments qu'elle a éprouvés lorsqu'elle a assisté à ces réunions. A lire aussi : Ouganda : démantèlement d'un centre de ''radicalisation'' \"Nous vivons dans la peur à Bamenda\" Je me demandais : \"Pourquoi cela ne pourrait-il pas être mon fils ? Mais quand j'ai vu les autres parents embrasser leur enfant, j'ai été heureuse pour eux. J'ai aussi senti que s'ils pouvaient avoir ce jour, je pourrais certainement avoir ce jour aussi. J'avais de l'espoir. En voyant leur enfant leur revenir, j'avais l'espoir qu'un jour mon enfant reviendrait à moi\", dit Jingzhi. Discrimination des africains de Guangzhou Il y a eu des moments, cependant, où elle a presque perdu espoir. \"Chaque fois qu'une piste s'est avérée être fausse, je me suis sentie très déçue\", dit-elle. \"Mais je ne voulais pas continuer à me sentir déçue. Si j'avais continué à me sentir déçue, il m'aurait été difficile de continuer à vivre. J'ai donc gardé l'espoir pour continuer à vivre\". Sa mère âgée lui a également rappelé qu'elle devait continuer à chercher son fils. \"Ma mère est morte en 2015 à l'âge de 94 ans, mais avant son décès, Jia Jia lui manquait encore beaucoup. Une fois, ma mère m'a dit qu'elle rêvait que Jia Jia revienne. Elle m'a dit : \"Cela fait presque 30 ans, il devrait revenir\", dit Jingzhi. Face à la montée de la Chine, l'Ouganda se met au Madarin Lorsque sa mère est tombée inconsciente peu avant sa mort, Jingzhi a deviné qu'elle pensait à son petit-fils. J'ai chuchoté à l'oreille de ma mère : \"Maman, ne t'inquiète pas, je vais certainement retrouver Jia Jia\", dit-elle. \"Ce n'était pas seulement pour réaliser mon propre souhait, je voulais réaliser le souhait de ma mère et trouver Jia Jia. Ma mère est décédée en 2015, le 15 janvier, sur le calendrier lunaire - c'est l'anniversaire de Jia Jia. J'ai senti que c'était la façon dont Dieu me rappelait de ne pas oublier la mère qui m'a donné naissance et le fils que j'ai mis au monde. Le même jour, l'un est mort et l'autre est né\". Puis, le 10 mai de cette année - jour de la fête des mères - elle a reçu un appel du Bureau de la sécurité publique de Xi'an lui annonçant la nouvelle incroyable suivante : \"Mao Yin a été retrouvé. Coronavirus : comment Wuhan est sorti du confinement \"Je n'osais pas croire que c'était réel\", dit Jingzhi. En avril, quelqu'un lui avait donné une piste concernant un homme qui avait été enlevé à Xi'an il y a de nombreuses années. Cette personne lui avait fourni une photo de ce garçon à l'âge adulte. Jingzhi a donné la photo à la police, qui a utilisé la technologie de reconnaissance faciale pour l'identifier comme un homme vivant dans la ville de Chengdu, dans la province voisine du Sichuan, à environ 700 km de là. La police l'a ensuite convaincu de passer un test ADN. C'est le 10 mai que le résultat est revenu comme une correspondance. La semaine suivante, la police a prélevé des échantillons de sang pour effectuer une nouvelle série de tests ADN et les résultats ont prouvé sans aucun doute qu'ils étaient la mère et le fils. \"C'est lorsque j'ai reçu les résultats des tests ADN que j'ai vraiment cru que mon fils avait été retrouvé\", dit Jingzhi. Après 32 ans et plus de 300 fausses pistes, la recherche était enfin terminée. Le lundi 18 mai a été choisi comme jour de leurs retrouvailles. Jingzhi était nerveux. Elle n'était pas sûre de ce que son fils allait ressentir pour elle. Il était maintenant un homme adulte, marié, et dirigeant sa propre entreprise de décoration intérieure. \"Avant la réunion, j'avais beaucoup de d'appréhensions. Peut-être ne me reconnaîtrait-il pas, ou ne m'accepterait-il pas, et peut-être m'avait-il oublié dans son coeur. J'avais très peur que lorsque j'irai embrasser mon fils, celui-ci n'accepte pas mon étreinte. J'ai senti que cela me ferait encore plus mal, si le fils que je cherchais depuis 32 ans n'acceptait pas l'amour et l'étreinte que je lui donne\", dit Jingzhi. En raison de ses fréquentes apparitions à la télévision pour parler du problème des enfants disparus, son cas était devenu connu et les médias étaient enthousiastes à l'idée de rapporter l'histoire. Le jour des retrouvailles, la télévision centrale chinoise (CCTV) a diffusé une émission en direct qui montrait Jia Jia entrant dans la salle de cérémonie du Bureau de la sécurité publique de Xi'an, criant \"Maman !\" en se jetant dans ses bras. La mère, le fils et le père pleuraient tous ensemble. Le moment où Li Jingzhi a vu son fils pour la première fois en 32 ans \"C'est exactement comme ça qu'il courait vers moi quand il était enfant\", dit Jingzhi. Jingzhi a appris plus tard que Jia Jia avait été vendu à un couple sans enfant dans la province du Sichuan pour 6 000 yuans (690 £/840 $ en argent d'aujourd'hui) un an après son enlèvement. Ses parents adoptifs l'ont rebaptisé Gu Ningning et l'ont élevé comme leur seul enfant. Il a fréquenté l'école primaire, le collège et l'université de la ville de Chengdu. Ironiquement, il avait vu Jingzhi à la télévision quelques années plus tôt et pensait qu'elle était une personne chaleureuse. Il a également trouvé que la photo de son fils qu'elle montrait lui ressemblait quand il était enfant. Mais il n'a pas fait le lien. Quant à savoir qui a donné à Jingzhi l'information sur le lieu où se trouve son fils, cette personne préfère rester anonyme. La famille réunie Après leurs retrouvailles, Jia Jia a passé un mois à Xi'an, restant à tour de rôle chez sa mère et son père biologiques. Pendant ce temps, la mère et le fils ont passé du temps à regarder de vieilles photos, dont ils espéraient tous deux qu'elles réveilleraient le souvenir de l'enfance de Jia Jia avant sa disparition. Mais malheureusement pour eux, Jia Jia ne se souvient de rien de ce qui lui est arrivé avant l'âge de quatre ans, lorsqu'il est allé vivre chez ses parents adoptifs. \"C'est quelque chose qui me fait mal au cœur\", dit Jingzhi. \"Après le retour de mon fils, il voulait aussi retrouver une image ou un souvenir de la vie qu'il avait quand il était encore avec moi, mais pour l'instant, il ne l'a toujours pas trouvé\". Jingzhi a également réalisé, lors d'une visite dans un lieu pittoresque de Xi'an, qu'il est impossible de revivre le passé. Ce jour-là, nous sommes allés dans les montagnes et en descendant, j'ai dit : \"Jia Jia, laisse maman te porter\". Mais je n'ai pas pu le porter. Il était trop grand. \"J'ai senti que s'il pouvait revenir à mes côtés, nous pourrions tout recommencer depuis son enfance, nous pourrions combler ce vide de 32 ans. J'ai dit à mon fils : Jia Jia, tu peux revenir à ce que tu étais avant ? Tu commences à l'âge de deux ans et huit mois et maman commencera à l'âge de 28 ans - revivons notre vie à nouveau\". Mais Jingzhi sait qu'en réalité, c'est impossible. Chine-Amérique : rebondissement dans la guerre des tarifs Jia Jia continue de vivre à Chengdu tandis que Jingzhi vit toujours à Xi'an. De nombreuses personnes ont suggéré qu'elle devrait le persuader de revenir à Xi'an pour être à ses côtés, mais même si elle aimerait que cela se produise, elle dit qu'elle ne veut pas lui compliquer la vie. \"C'est un adulte maintenant. Il a sa propre façon de penser. Il a sa propre vie. Jia Jia s'est mariée et a sa propre famille. Je ne peux donc que lui souhaiter bonne chance, à distance. Je sais où se trouve mon fils. Je sais qu'il est toujours en vie. C'est suffisant.\" Ils sont en tout cas capables de communiquer quotidiennement sur le réseau social, Wechat. \"La personnalité de mon fils est très semblable à la mienne. Il pense beaucoup à moi et je pense beaucoup à lui\", dit Jingzhi. \"Après toutes ces années, il est toujours aussi aimant envers moi. C'est comme si nous n'avions pas été séparés. Nous sommes très proches\". Jia Jia préfère ne pas être interrogé et la police ne révèle pas d'informations sur ses parents adoptifs. Quant à savoir qui a emmené Jia Jia il y a 32 ans et comment ils l'ont fait, Jingzhi dit qu'elle espère que la police trouvera une solution. Elle veut que les coupables soient punis pour l'avoir fait passer par 32 ans d'angoisse et avoir changé sa vie et celle de Jia Jia. Mission secrète pour sauver des victimes de trafic sexuel Elle est maintenant occupée à créer de nouveaux souvenirs avec son fils disparu depuis longtemps. Ils ont pris de nombreuses photos ensemble depuis leurs retrouvailles. Sa photo préférée est la première qu'ils ont prise ensemble, le lendemain de leurs retrouvailles, lorsqu'ils ont passé du temps seuls dans un parc. Sur la photo, la mère et le fils se tiennent côte à côte, ressemblant à des répliques exactes, ravis d'être enfin réunis. Jingzhi affirme que ces dernières années, grâce aux efforts du gouvernement chinois et des médias chinois pour faire connaître le problème, le nombre de cas d'enlèvements d'enfants a diminué. Mais il y a encore beaucoup de familles à la recherche de leurs enfants disparus et beaucoup d'enfants adultes à la recherche de leurs parents biologiques. Et cela signifie que Jingzhi a encore du travail à faire. \"Je continuerai à aider les gens à retrouver leur famille\", dit-elle. Images : Li Jingzhi sauf indication contraire."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43945801", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43951782", "doc1": "মিশরে অনেক নারীরই কোঁকড়া চুল দেখা যায় ২৬ বছর বয়সী এই তরুণীর মাথা ভর্তি ছিলো কোঁকড়া চুলে, স্পেনে যে চুলের বেশ সমাদর। এমান এল দিব এখন বসবাস করছেন সেখানেই। \" দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিলো আমার জন্য খুবই কষ্টের। কখনোই ভাবিনি যে আমি একজন অভিবাসী হবো। কিন্তু আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এমন কোথাও গিয়ে বাস করতে চাইছিলাম যেখানে আমি দেখতে কেমন সেটি অন্য কারও মাথাব্যথার কারণ হবেনা\"। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে কোঁকড়া চুলের কারণে তাকে বেশ গঞ্জনা সইতে হয়েছে তখন। এমান বলছেন এমনকি বন্ধুদের কাছেও হাস্যকর মনে হচ্ছিলো নিজেকে। \"প্রথম কয়েকমাস একটি মিশরীয় ব্যাংকে চাকুরী করেছিলাম। তখন প্রায় প্রতিদিনই মানবসম্পদ বিভাগ থেকে আমাকে বলা হলো যে চুলগুলো সোজা করো\"। হয়তো এমানের সিদ্ধান্তটি অনেক বেশি কঠিন বলে মনে হচ্ছে কিন্তু মিশরে অনেক নারীকেই এ সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এমান এল দিব যদিও মিশরে বেশিরভাগই নারীর কোঁকড়া চুলই প্রকৃতি প্রদত্ত। যদিও অল্প বয়স থেকেই 'সমাজের চোখে সুন্দর' দেখানোর জন্য এ চুল সোজা করাতে জোর করা হয়। চুলের জন ফেসবুক গ্রুপ ২০১৬ সালে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয় যার উদ্দেশ্যই ছিলো নারীদের প্রকৃত প্রদত্ত চুলের যত্নে সহায়তা করা এবং গ্রুপটি শুরু থেকেই ব্যাপক সাড়া পেতে শুরু করে। দ্যা হেয়ার অ্যাডিক্ট গ্রুপে এখন আছেন এক লাখেরও বেশি নারী সদস্য। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা দোয়া গ্যাউইশ নিজেও চুলের জন্য অনেক ভুগেছেন। \"আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার চুল নিয়ে রীতিমত হাসিতামাশা করা হতো। তাই সবসময় সোজা করে রাখতাম\"। তবে এখন চুল নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে অনেক। ৩২ বছর বয়সী নোরা আমর বলছেন মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন আর এখন বরং কোঁকড়া চুলের সংস���কৃতিও ফিরে আসছে। তার মতে এটি আসলে সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। নিজের কন্যার সাথে হেয়ার অ্যাডিক্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ফলশ্রুতিতে কোঁকড়া চুলের স্যালুনও যাত্রা শুরু করেছে প্রথম বারের মতো এবং বিষয়টি ক্রমশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে ব্যাপক। যা টের পাচ্ছেন এমান এল দিব নিজেও। \"এ বছর এপ্রিলে যখন মিশরে বেড়াতে আসলাম তখন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলছিলো যে তোমার চুলগুলো খুব সুন্দর। চূল নিয়ে মিশরে এটাই প্রথম কোন ইতিবাচক মন্তব্য শুনলাম আমি\"। মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কেন পরিবর্তন আনা হচ্ছে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ হলেন কয়েকশ দলিত", "doc2": "HAIR ADDICT est un groupe Facebook lancé en mars 2016 pour aider les femmes à prendre soin de leurs cheveux naturellement Elle est partie à cause de ses cheveux bouclés. Dans un pays où beaucoup de femmes cherchent à imiter les critères \"à l'européenne\", les cheveux de la jeune femme de 26 ans étaient comme une malédiction. La jeune Eman El-Deeb a quitté son pays pour être acceptée comme elle est \"J'étais très triste de devoir partir, je n'avais pourtant jamais pensé m'expatrier\", précise Eman. \"Mais j'étais fatiguée, à bout... Je savais que je voulais vivre dans un endroit où mon look ne dérangerait personne.\" A lire aussi : Retour à la source de mes cheveux L'huile de coco, mythes et vertus Bénin: exposition sur les cheveux naturels Eman assure qu'en Egypte elle a été ridiculisée par des personnes de son entourage et par des étrangers. \"Lorsque j'ai commencé à travailler dans une banque égyptienne, un employé des ressources humaines venait me demander de me lisser les cheveux presque tous les jours\", dit-elle. Critères de beauté En Espagne, où elle vit actuellement, Eman reçoit de nombreux compliments sur ses cheveux bouclés. Bien que la décision d'Eman de changer de pays puisse paraitre extrême, son histoire résonnera probablement avec beaucoup de femmes. La plupart des femmes égyptiennes ont naturellement les cheveux bouclés. Pourtant, la plupart sont obligées de les lisser à un très jeune âge pour s'adapter aux critères de beauté imposés par la société. Retour au cheveu naturel Longtemps lissés, défrisés, et par conséquent fragilisés, pour suivre les canons de beauté occidentaux, les cheveux afro se sont progressivement démocratisés aux quatre coins du monde. Portés par des personnalités, des actrices, des mannequins et des femmes politiques, sur les podiums, dans la rue, dans les bureaux, à la télévision et au cinéma, le cheveu naturel revient en force. L'actrice kényane arbore fièrement ses cheveux naturels ainsi qu'une variété de styles. Faites glissez la flèche de gauche à droite pour faire défiler les styles. Interactif Diversité des coupes afro L'actrice Lupita Nyong'o, 14 mars 2018 L'actrice Lupita Nyong'o, 4 mars 2018 Qu'ils soient afro, frisés, bouclés, courts ou volumineux, la tendance actuelle est axée vers le naturel et fait de plus en plus d'adeptes. En témoignent les cheveux de Viola Davis, Solange Knwoles ou Lupita Nyong'o qui arborent fièrement la coupe afro et une diversité de coiffures adaptées à leur type de cheveux. Les dernières tendances en matière de coupe afro ainsi que les tutoriels pour coiffer les cheveux crépus et frisés n'ont jamais été si nombreux et ne cessent de se multiplier sur les réseaux sociaux."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48665577", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-37988898", "doc1": "মোহাম্মদ মোরসি কায়রোতে আদালতকক্ষে একটি মামলার বিচার চলার সময় সংজ্ঞা হারানোর পর তিনি মারা যান বলে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন খবর দিয়েছে। সাতষট্টি বছর বয়স্ক মোহাম্মদ মোরসি তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভি��োগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল। মিশরের 'আরব বসন্ত' নামে খ্যাত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের এখন কি অবস্থা্? তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা এবং মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এক বছর পরই তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মি. মোরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দী আছেন। মোরসি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর তার সমর্থক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে মিশরের কর্তৃপক্ষ। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের নেতা হন আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, যিনি এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: প্রতিকার কী? জাদু দেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ জাদুকর প্রবাসীদের নিয়ে হঠাৎ কী হলো ঢাকার বিমানবন্দরে", "doc2": "Mohamed Morsi a été condamné à quatre reprises depuis sa destitution par l'armée en 2013. La Cour de cassation a aussi ordonné la tenue d'un nouveau procès de M. Morsi devant une cour criminelle. L'ex-chef de l'Etat avait été condamné à la peine de mort en juin 2015 pour son rôle dans des évasions massives de prison et des attaques qui ont fait tomber le régime de Hosni Moubarak en 2011. Elu président en 2012, Mohamed Morsi a été écarté du pouvoir par l'armée un an plus tard, à la suite de manifestations contre son gouvernement. La Cour de cassation a aussi annulé les condamnations de cinq de ses co-accusés, dont l'ancien guide suprême des Frères musulmans, Mohamed Badie. Cette confrérie est déclarée \"organisation terroriste\" par les autorités égyptiennes, depuis fin 2014. Les condamnations à la prison à perpétuité de 21 autres détenus ont également été annulées. Un \"complot\" En janvier 2011, M. Morsi s'était échappé de la prison de Wadi Natroun, où il était été détenu pour \"un complot\" visant à libérer des islamistes emprisonnés. Au total, il a été condamné à quatre reprises - au moins deux condamnations à la peine de mort - depuis sa destitution par l'armée en 2013. Dans un procès pour espionnage au profit du Hamas palestinien, du Hezbollah libanais et de l'Iran, il avait été condamné à la prison à vie. M. Morsi a aussi écopé de 20 ans de prison pour des violences contre des manifestants lorsqu'il dirigeait l'Egypte. En juin dernier, il a été condamné de nouveau à la prison à vie avec 10 coaccusés pour le vol de \"documents relevant de la sécurité nationale\". Mohamed Morsi est détenu à la prison de Borg-el-Arab, près d'Alexandrie."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56210636", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56292207", "doc1": "আমাজনের উষ্ণমণ্ডলীয় বনভূমি যেসব এলাকা বিক্রি হচ্ছে এগুলো সংরক্ষিত এলাকা - যার মধ্যে আছে জাতীয় বনভূমি এবং আদিবাসীদের জন্য নির্ধারিত এলাকা। ফেসবুকে 'ক্লাসিফায়েড এ্যাড' সেবার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত আমাজনের এসব প্লটের কোনো কোনোটি এক হাজার ফুটবল মাঠের সমান বড়। ফেসবুক বলছে, তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছে, কিন্তু এই বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য তারা নিজেরা স্বাধীনভাবে কোন পদক্ষেপ নেবে না বলে তারা আভাস দিচ্ছে। তারা বলছে, \"আমাদের বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতিমালা এমন যে সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে আইন-কানুন মেনে চলতে হয়।\" তবে এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর একটির নেতা ফেসবুককে এ ব্যাপারে আরো বেশি কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন। পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন যে দেশটির সরকার এসব বিক্রি বন্ধ করতে ইচ্ছুক নয়। আমাজনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস - তবে এখানে ব্যাপকভাবে বন ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ বিষয়ক একটি বেসরকারি সংস্থা 'কানিন্দে'-র প্রধান ইভানেইদ বানদেইরা বলছেন, \"ভূমি দস্যুরা এখন নিজেদের এতই ক্ষমতাবান মনে করছে যে তারা ফেসবুকে এসব অবৈধ জমি বেচাকেনার চুক্তি করতে লজ্জা বোধ করছে না।\" কোন সার্টিফিকেট নেই ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের 'সার্চ' ব্যবহার করে কেউ যদি পর্তুগীজ ভাষায় 'বনভূমি' বা 'দেশীয় জঙ্গল' এ জাতীয় শব্দ লেখেন, এবং আমাজনিয়ান রাজ্যগুলোকে 'লোকেশন' হিসেবে বেছে নেন - তাহলে যে কেউ এসব অবৈধভাবে দখল করা প্লটের সন্ধান পেতে পারেন। তালিকাভুক্ত কোন কোন বনভূমির উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি এবং জিপিএসের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশও দেয়া আছে। পৃথিবীর প্রতি ১০ প্রজাতির প্রাণীর একটি বাস করে আমাজন বনভূমিতে এগুলো যারা বিক্রি করছেন - তারা খোলাখুলি স্বীকার করেন যে তাদের এসব জমির মালিকানার কোন দলিলপত্র নেই - যা ব্রাজিলীয় আইন অনুযায়ী কোন জমির মালিকানার প্রমাণ। ব্রাজিলে এখন যে 'ক্যাটল র‍্যাঞ্চিং' বা বড় আকারে গবাদিপশুর খামার শিল্প গড়ে উঠেছে - তা এই অবৈধ কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে বলে মনে করা হয়। কোন ঝুঁকি নেই গত ১০ বছরের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান আমাজনে এখন বনভূমি ধ্বংসের পরিমাণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বনভূমি বিক্রেতাদের একজন হচ্ছেন ফ্যাব্রিসিও গিমারেস। তিনি বনভূমির একটি অংশ আগুনে পুড়িয়ে খোলা প্রান্তরে পরিণত করেছেন। এটা করা হয়েছে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এবং জমিটি এখন চাষাবাদের জন্য তৈরি। গোপন ক্যামেরা দিয়ে তার কর্মকাণ্ড রেকর্ড করা হয়। \"এখানে রাষ্ট্রীয় কোন কর্মকর্তার পরিদর্শনের কোন ঝুঁকিই নেই\" - বলছিলেন তিনি। তিনি জায়গাটির প্রাথমিক দাম হেঁকেছিলেন ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এখন সে দাম তিনগুণ বেড়ে গেছে। সংরক্ষিত বনভূমিকে গরু চরানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফ্যা���্রিসিও নিজে কৃষক নন। তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, একটি শহরে ভালো চাকরি করেন। তিনি এই উষ্ণমণ্ডলীয় বনভূমিকে দেখেন একটা বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে। বিবিসি পরে তার তদন্তের ব্যাপারে ফ্যাব্রিসিওর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। স্টিং অপারেশন ব্রাজিলের আমাজন বনভূমি সবচেয়ে বেশি উজাড় হচ্ছে যেখানে - সেই রাজ্যটির নাম রন্ডনিয়া। ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের অনেকগুলোই আসে এই এলাকা থেকে । বিবিসি এখানকার চারজন বিক্রেতার সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিল। এজন্য একজনকে ছদ্মবেশী আইনজীবী হিসেবে পাঠানো হয় - যিনি নিজেকে কয়েকজন ধনী বিনিয়োগকারীর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন। একজন জমি বিক্রেতার নাম আলভিম সুজা আলভেস। তিনি স্থানীয় মুদ্রায় ১৬,৪০০ পাউণ্ড দামে একটি প্লট বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। এই জায়গাটি উরু ইউ ওয়াউওয়াউ নামে একটি সংরক্ষিত আদিবাসী এলাকায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন; ফ্যাব্রিসিও বনের জমি বিক্রি করছেন ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে এখানে ২০০ জনেরও বেশি উরু ইউ ওয়াউ ওয়াউ জনগোষ্ঠীর লোক বাস করে। এছাড়া ব্রাজিল সরকারের তধ্যমতে এখানে অন্তত আরো পাঁচটি জনগোষ্ঠী বাস করে যাদের সাথে বাইরের বিশ্বের কোন যোগাযোগই হয়নি। কিন্তু আমাদের সাথে বৈঠকে মি. আলভেস দাবি করলেন, তার জায়গাটিকে কোন 'ইন্ডিয়ান' নেই। \"এখানে কোন ইন্ডিয়ান নেই। আমার জমিটা যেখানে - তারা সেখান থেকে ৩১ মাইল দূরে বাস করে। তবে এমন নয় যে সেখানে আপনি তাদের আনাগোনা দেখতে পাবেন না।\" উরু ইউ ওয়াউ ওয়াউ সম্প্রদায়ের নেতা বিতাতে উরু ইউ ওয়াউওয়াউ-কে বিবিসি ফেসবুকের বিজ্ঞাপনটি দেখিয়েছিল। তিনি জানালেন, প্লটটি এমন এক জায়গায় যেখানে তারা শিকার, ফল সংগ্রহ ও মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করেন। \"এখানে সম্মানের অভাব আছে। আমি এসব লোককে চিনি না। আমার মনে হয় তারা আদিবাসীদের জমির বন উজাড় করতে চায়, বলতে পারেন তারা আমাদের জীবনটাই উজাড় করতে চায়। \" তিনি বলেন - এখানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং ফেসবুকের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান স্বত:প্রণোদিত হয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। পরিস্থিতি বদলে গেছে অবৈধ জমির বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার পেছনে আরেক কারণ হলো, ক্ষমা পেয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। মি. আলভেস বলেন, তিনি অন্য কয়েকজনের সাথে মিলে কাজ করছেন যেন চুরি করা এসব জম���র বৈধ মালিকানা পাবার জন্য রাজনীতিকদের সহায়তা পাওয়া যায়। তিনি বলছেন, \"সত্যি কথাটা হলো, মি বোলসোনারোর সময় যদি এর সমাধান না হয় - তাহলে আর কখনোই হবে না।\" উরু ইউ ওয়াওওয়াও জনগোষ্ঠী বলছে তারা বনভূমি বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বিবিসি বাংলায় আরো খবর: খাসোগজি হত্যা রিপোর্ট প্রকাশের আগে সৌদি বাদশাহকে বাইডেনের ফোন ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন না শামীমা বেগম কারাগারেই মৃত্যু লেখক মুশতাক আহমেদের ৭ই মার্চের কর্মসূচি 'আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে না': বিএনপি বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের নতুন ট্রেনে ভারতীয়দের কী লাভ বিবিসির ছদ্মবেশী রিপোর্টারকে তিনি এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিযে দেন, যিনি কুরুপিরা সমিতি নামে এক গোষ্ঠীর প্রধান। ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ এ গ্রুপটিকে অবৈধ জমি দখলের সাথে যুক্ত বলে অভিহিত করেছে। তাদের কৌশলটা হচ্ছে, প্রথমে জঙ্গল কেটে সাফ করে ফেলা- এবং তারপর 'জঙ্গল এখন আর নেই\" এ যুক্তি দেখিয়ে তার সংরক্ষিত মর্যাদা বাতিল করিয়ে সরকারের কাছ থেকে সেই জমি কিনে নেয়া। এ জন্য উচ্চস্তরের রাজনীতিবিদদের সহায়তায় ব্রাসিলিয়াতে সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠকের আয়োজন করার তদ্বির চলছে বলেও জানান তিনি। তাদের একজন প্রধান মিত্র হচ্ছেন কংগ্রেসম্যান কর্নেল ক্রিসোতোমো। তিনি সোশ্যাল লিবারেল পার্টির সদস্য। মি. বোলসোনারো নিজের দল গঠনের আগে এই দলেরই সদস্য ছিলেন। বিবিসি তার সাথে যোগাযোগ করলে মি. ক্রিসোতোমো বৈঠকের আয়োজনে সহায়তার কথা স্বীকার করলেও বলেন, এই কুরুপিরা গোষ্ঠী যে জমি দখলের সাথে যুক্ত তা তিনি জানতেন না। \"এটা করে থাকলে তারা আমার সমর্থন আর পাবে না,\" বলেন তিনি। মি. আলভেস এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। এ্যালভিম সুজা আলভেস বিবিসি ব্রাজিলের পরিবেশ মন্ত্রী রিকার্ডো সালেসের সাথে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন \"প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সরকার পরিবেশগত অপরাধসহ সব অপরাধের ক্ষেত্রে 'শূন্য সহিষ্ণুতা' দেখিয়ে আসছে।\" তবে রন্ডনিয়ার একজন ফেডারেল কৌঁসুলি রাফায়েল বেভিলাকুইয়া বলেন, বর্তমান সরকারের সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। ফেসবুক তাদের মার্কেটপ্লেসে আমাজনের জমি বিক্রি বন্ধ করার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেয় বলে মনে হচ্ছে না। তারা বলছে, কোন বেচাকেনা অবৈধ তা বের করা খুবই জটিল, এবং তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বিচারবিভাগেরই দেখা উচিত। ইভানেই বানদেইর��� - যিনি ৩০ বছর ধরে রন্ডনিয়ায় বন উজাড়ের বিরুদ্ধে লড়ে আসছেন - বলছেন, তিনি এখন আশা হারিয়ে ফেলছেন। \"বনভূমি রক্ষা করা এর আগে কখনো এত কঠিন ছিল না\" বলেন তিনি। আমাজন", "doc2": "Une capture d'écran d'une petite annonce vendant des zones protégées de la forêt tropicale amazonienne Elle fait suite à une enquête de la BBC, qui a révélé que des parcelles aussi grandes que 1000 terrains de football figurant dans les petites annonces de la plateforme Marketplace. Le tribunal demande au gouvernement de \"prendre les mesures civiles et pénales appropriées\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Facebook annonce qu'il est \"prêt à travailler avec les autorités locales\". Mais la société de technologie indique qu'elle ne prendra pas de mesures indépendantes de son propre chef pour mettre un terme au commerce. L'Amazonie est la plus grande forêt tropicale du monde et un réservoir de carbone vital qui ralentit le rythme du réchauffement climatique. Elle abrite environ trois millions d'espèces de plantes et d'animaux, et un million d'indigènes. Luís Roberto Barroso examine la manière dont le gouvernement traite les populations indigènes à la lumière de la pandémie de coronavirus Toujours en ligne Le juge de la Cour suprême du Brésil, Luís Roberto Barroso, a demandé au procureur général et au ministère de la Justice du pays d'enquêter sur les conclusions de la BBC. Il supervisait déjà un procès intenté devant la Cour suprême fédérale par une ONG - l'Articulation des peuples indigènes du Brésil - et six partis politiques. Les plaignants ont accusé le gouvernement de ne pas faire assez pour empêcher le coronavirus d'affecter les communautés indigènes. Le juge a pris la décision d'étendre l'affaire pour inclure les publicités sur Facebook. Et il a notamment attiré l'attention sur la communauté Uru Eu Wau Wau. Le documentaire de la BBC rapporte que des terres situées à l'intérieur d'une réserve utilisée par le groupe indigène ont été mises en vente pour l'équivalent d'environ 16 400 livres sterling (12 453 973 FCFA) en monnaie locale. Pas de papiers La BBC a signalé certaines des publicités concernées sur Facebook, mais le géant des médias sociaux n'a pas réussi à les supprimer. Les listes comprennent des zones situées à l'intérieur de territoires indigènes et de forêts nationales, qui ont un statut protégé. Certaines comportent des images satellites et des coordonnées GPS. Beaucoup de vendeurs admettent ne pas pouvoir prouver leur propriété légale. Pour les trouver, il suffit aux utilisateurs de taper en portugais des termes tels que \"forêt\", \"jungle indigène\" et \"bois\" dans l'outil de recherche de la place de marché Facebook, et de choisir une municipalité amazonienne comme emplacement souhaité. La BBC a organisé des rencontres entre quatre vendeurs sur Facebook et un agent infiltré se faisant passer pour un avocat, qui prétendait représenter de riches investisseurs. Les vendeurs pris en flagrant délit de caméra cachée vendaient et défrichaient illégalement la forêt tropicale afin qu'elle puisse servir de pâturage pour le bétail et de terre agricole. \"Terres volées\" Les annonces illégales montrent un manque de respect envers les populations indigènes, estiment les dirigeants des communautés Le chef de la commission de l'environnement du Sénat brésilien, le sénateur Jaques Wagner, a qualifié les accords fonciers de \"criminels\". Il a signalé que son groupe de législateurs allait écrire à Facebook pour lui demander de \"revoir sa politique afin de mettre un frein à cette pratique\". Facebook a indiqué qu'il estime que la tâche consistant à essayer de déduire quelles ventes sont illégales est trop complexe pour qu'il puisse la mener à bien lui-même. Mais un membre du Congrès s'est moqué de cette explication. \"Quelle est la différence entre la vente de terres volées avec violence contre les droits des indigènes sur Facebook et la vente de stupéfiants par le biais de la plateforme ? a demandé Nilto Tatto, membre de la commission de l'environnement de la Chambre basse. \"Peut-on alors utiliser Facebook pour vendre des narcotiques ? En tant que parlementaire, je vais poser cette question\", dit-il. Pression internationale Le gouvernement brésilien a fait l'objet de critiques internationales pour ne pas avoir réussi à freiner la déforestation, qui est à son plus haut niveau depuis 12 ans. La déforestation dans la forêt amazonienne brésilienne est en hausse depuis 2008 Les écologistes accusent le président du pays, Jair Bolsonaro, d'encourager les bûcherons et les agriculteurs à défricher certaines parties de la forêt tropicale. Et certains des vendeurs capturés en caméra cachée par la BBC disent qu'ils le considèrent comme un allié. La BBC a approché le ministre brésilien de l'environnement Ricardo Salles avec les résultats de son enquête. Il a réagi comme suit : \"le gouvernement du président Jair Bolsonaro a toujours clairement indiqué qu'il appliquait une tolérance zéro pour tous les crimes, y compris ceux liés à l'environnement.\" Un porte-parole du Programme des Nations unies pour l'environnement a confié à la BBC : \"la déforestation illégale sape les traités et engagements internationaux, notamment l'Accord de Paris et la Convention sur la diversité biologique\". Regarder : Serge Sabin Ngwato, Greenpeace Afrique, tire les enseignements des incendies en Amazonie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51463657", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51709767", "doc1": "গ্লাসে গ্রিন ফ্রুট স্মুদি তবে চিন্তার কারণ নেই, আপনাকে নিজে পুকুর বা বদ্ধ পানি থেকে শ্যাওলা তুলে আনতে হবেনা। বরং এটি আপনার কাছে আসবে উজ্জ্বল সবুজ কাপ কেক বা স্মুদি হিসেবে, যেখানে অবশ্যই ডিপ ওশ্যান ব্লু শেড থাকবে। মনে রাখতে হবে এসব যখন ঘটবে তখন বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে আটশ কোটিতে। কিন্তু ক্ষুদে শ্যাওলার কি বাড়ন্ত জনসংখ্যার খাবার সরবরাহে সহায়তা করতে পারবে অথবা এটি কী আরেকটি অস্বাভাবিক খাদ্য ফ্যাশনে পরিণত হবে। মাইক্রো অ্যালজি ও সায়ানো ব্যাকটেরিয়া কী? মাইক্রো অ্যালজি ও সায়ানো ব্যাকটেরিয়া আসলে জলজ উদ্ভিদ ও এক ধরনের ক্ষুধে শ্যাওলা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছে যেসব গাছ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করছে সিগারেটের বাট পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গ মরে গেলে কী হবে? মদ আর সিগারেট - ক্যান্সারের ঝুঁকি কোন্‌টির কতটা? পুকুরের শ্যাওলাই হতে পারে আকর্ষনীয় খাবার মাইক্রো অ্যালজি এক কোষী, যা লবণাক্ত বা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয় এবং সূর্যের আলো থেকে সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে যা তাদের জীবনীশক্তি তৈরি করে। অন্যদিকে সায়ানোব্যাকটেরিয়াও জলজ এবং সবুজ এই চারাগুলোও সূর্যের আলো থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে। তবে মাইক্রো অ্যালজি ও সায়ানোব্যাকটেরিয়ার এই আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন। বিশ্বজুড়ে মাইক্রো অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিজ্জগুলোর অনেক প্রজাতি আছে, কিন্তু ক্লোরেলা ও স্পিরুলিনা এখনি উৎপাদন হয় এবং খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। #স্পিরুলিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ইনস্টাগ্রাম সেনসেশন কয়েক বছর আগে #স্পিরুলিনা সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনে পরিণত হয়েছিলো। লাখ লাখ মানুষ 'মারমেইড স্মুদি' এবং 'ওশ্যান বোলস' এর ছবি শেয়ার করেছিলো। কারো কারো কাছে এটা ছিলো নতুন সুপারফুড। স্পিরুলিনার ট্যাবলেট ও পাউডার এবং ক্লোরেলা ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও প্রোটিন সহকারে প্যাকেট জাত করে বাজারজাত করা হচ্ছিলো। লন্ডনে�� প্যাডিংটনের কাছ ইয়েটাউন কিচেনে স্পিরুলিনা ও ক্লোরেলা রান্নায় গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেখানেই আপনি পেতে পারেন গ্রিন স্পিরুলিনা পালেও কুকি, দুগ্ধজাত দ্রব্যমুক্ত আইসক্রিম, গ্রিন স্পিরুলিনা এনার্জি বলস এবং ব্লু স্পিরুলিনা চিজকেক। তবে এগুলো দেয়া হয় স্টার্টার হিসেবে। স্পিরুলিনা আগে থেকেই খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, দাবি গবেষকদের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লান্ট সায়েন্সেসের প্রফেসর আলিসন স্মিথ। তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিজ্জ বিষয়ক বিজ্ঞানী। তিনি বলছিলেন কীভাবে আগে থেকেই জলজ উদ্ভিদ খাওয়ার প্রচলন হয়েছে। \"মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই নীল সবুজ শ্যাওলা খাচ্ছে। কয়েক শত বছর আগে থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ তাদের পুকুর থেকে নিয়ে স্পিরুলিনাকে খাবারে সংযোজন করে আসছে।\" তাহলে লাভটা কোথায়? মাইক্রো অ্যালজিতে উঁচু মাত্রার প্রোটিন আছে যা মাংসের বিকল্প হতে পারে। এ মূহুর্তে এখন অল্প পরিসরে খাদ্যে সংযোজন করা হলেও এর একটি স্বাস্থ্যগত কৌশল আছে। তবে অ্যান্ড্রু স্পাইসার, সিইও অফ আলজেনুইটি, ক্লোরেলা ভালগারিস ডিমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে চান, বিশেষ করে কেক ও পাস্তায়। স্পিরুলিনা ব্যবহৃত হতে পারে ম্যায়োনিজের বদলে, কারণ এটি অনেকটা ডিমের কুসুমের মতো। গন্ধটা আপত্তিকর মনে হলেও এটি দেখতে ভালো অসুবিধাগুলো কোথায় স্পিরুলিনার গন্ধ ও স্বাদটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। শেফ সাইমন পেরেজের মতে এটায় মাছ ও লোহার মিশ্রণের মতো একটি গন্ধ আছে। আর এটার রংয়েও কিছুটা সমস্যা আছে। তবে মাইক্রো অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিজ্জের স্বাস্থ্য সুবিধা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। স্পিরুলিনা ও ক্লোরেলায় উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন আছে। তবে তাদের পুষ্টিগুণ নিয়ে যে দাবি করার হয় তা বিজ্ঞান দ্বারা এখনো সমর্থিত নয়। এই তাহলে আগামী দিনের খাবার? পুষ্টিবিদ রিয়ানন ল্যামবার্ট বলছেন, \"স্পিরুলিনায় ৫৫ থেকে ৭০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। এটা উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবারের চেয়ে ভালো অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল আছে।\" জলজ উদ্ভিদে ওমেগা-৩ আছে। মাছের চেয়ে এ উৎসটি অনেক বেশি সহজলভ্য। এতে আছ ভিটামিন বি১২ যা এনার্জি মেটাবোলিজম এবং আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের জন্য খুবই দরকারি। তবে এই বি১২ কতটা কাজ করে তা নিয়ে সংশয় আছে রিয়ানন ল্যামবার্টের। এটি হজম হয় কিনা বা অন্য সূত্র থেকে পাওয়া বি১২ এর মতো কাজ করে কি-না তা নিয়েও সংশয় আছে। পুকুরে সবুজ শ্যাওলা মাইক্রো অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিজ্জই ভবিষ্যৎ খাবার কিছু নেতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও এর অনেক ইতিবাচক দিক আছে। জনসংখ্যা যেহেতু বাড়ছে এবং কৃষিজমি কমছে তাই উৎপাদন বাড়ানোর নতুন দিক উন্মোচন করতে হবে। প্রোটিনের অন্য সব উৎসগুলোর মতো জলজ উদ্ভিজ্জের জন্য বেশি কৃষি জমির দরকার হবেনা। \"এগুলো সব জায়গায় হতে পারে। পানি, সাগর, পুকুর, লেক..যে কোনো জায়গায়।\" এগুলো হতে পারে শহর ও বন্দরে। এমনকি এটি হতে পারে মহাকাশেও, দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গল অভিযাত্রায় যাওয়া নভোচারীদের খাদ্য হিসেবেও এটি দেয়া যেতে পারে। পুকুরের শ্যাওলা হতে পারে স্বাদের খাবার আলজেনুইটি অবশ্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দুর করার চেষ্টা করছে যাতে করে সুন্দর রং ও স্বাদের খাবার হয় শ্যাওলা বা জলজ উদ্ভিজ্জ থেকে। এর সিইও অ্যান্ড্রু বলছেন খাদ্যের নতুন সুযোগের দিকে দৃষ্টি দেয়ার এটাই সময়।\"", "doc2": "Le smoothie Mmmermaid ! Ne vous inquiétez pas, vous n'aurez pas à les ramasser vous-même. Il est plus probable qu'elle vous soit servie sous forme de cupcake vert vif, ou même de smoothie - bien que dans une improbable nuance de bleu profond. Avant de lever le nez, considérez ceci : le nombre de personnes sur Terre devrait atteindre 8 milliards d'ici 2023 selon les données de l'ONU - mais des études récentes indiquent que notre système alimentaire actuel ne peut nourrir qu'une population de 3,4 milliards de personnes avant qu'il ne commence à bouleverser les principales limites planétaires. A lire aussi sur BBC Afrique: Et c'est là qu'intervient l'humble écume des étangs. Le monde des micros-algues et des cyanobactéries pourrait-il contribuer à nourrir la population mondiale croissante, ou s'agit-il encore d'une autre lubie alimentaire fantaisiste ? Mais il faut d'abord faire les choses en premier : Que sont les micros-algues et les cyanobactéries ? Découvrez la chlorelle et la spiruline Cela peut ne pas sembler appétissant, mais les déchets de l'étang pourraient être un héros de l'alimentation sur Terre... et même nourrir les astronautes lors des missions vers Mars Les micro-algues sont des micro-organismes unicellulaires qui se développent dans l'eau salée ou douce et tirent leur énergie de la photosynthèse, processus par lequel les plantes et autres organismes convertissent la lumière en énergie afin d'alimenter leur vie. Les cyanobactéries, ou cyanophytes, sont également aquatiques et photosynthétiques. Bien que leur structure soit la même, les micro-algues sont plus complexes que les cyanobactéries et effectuent la photosynthèse différemment. Il existe une grande variété de micro-algues sur terre, mais la chlorelle et la biomasse de cyanobactéries connue sous le nom de spiruline sont les deux plus couramment produites et utilisées comme compléments alimentaires. Lire aussi: Une sensation Instagram #Sprulina est devenu un phénomène des médias sociaux Il y a quelques années, #spirulina est devenu une conception des médias sociaux. Des millions de personnes partageaient des images de \"smoothies de sirènes\" et de \"bols d'océan\" teints d'un bleu cyan brillant et éblouissant par le pigment naturel de la spiruline. Pour certains, cette couleur, peut-être surnaturelle, avait un effet bénéfique sur la santé - c'était soudain le nouveau super aliment. Les comprimés et les poudres de spiruline et de chlorella étaient commercialisés comme étant riches en vitamines et minéraux, en fer et en protéines. À Yeotown Kitchen, près de Paddington à Londres, la spiruline et la chlorelle sont des ingrédients clés de la cuisine. Vous pouvez y goûter un biscuit paléo à la spiruline verte, une glace à la spiruline sans produits laitiers, des boules énergétiques à la spiruline verte et un gâteau au fromage à la spiruline bleue. Et ce n'est qu'un début. Mais le professeur Alison Smith, responsable des sciences végétales à l'université de Cambridge et l'une des plus grandes spécialistes mondiales des algues, explique que manger des algues est une tradition qui existait bien avant Instagram : \"Les gens mangent des algues bleues depuis très longtemps. Il y a plusieurs centaines d'années, des personnes en Amérique du Sud ont rapporté qu'elles prélevaient de la spiruline dans des étangs pour compléter leur alimentation\". Autres articles de BBC Afrique: Alors quels en sont les avantages ? Avant qu'elle ne devienne \"Insta crazy\", les peuples indigènes du monde entier complétaient déjà leur alimentation avec de la spiruline achetée au marché local La teneur élevée en protéines fait des micro-algues une alternative végétalienne intéressante à la viande. Actuellement, on a tendance à les ajouter à la nourriture en petites quantités, plutôt comme un gadget de santé. Mais Andrew Spicer, PDG d'Algenuity, veut utiliser la chlorella vulgaris pour remplacer l'œuf dans des aliments comme les gâteaux et les pâtes. La spiruline peut même être utilisée pour faire de la mayonnaise, car elle fonctionne comme un jaune d'œuf. Lorsque vous la fouettez, elle s'ouvre et a la capacité de mélanger deux liquides qui ne se combineraient pas normalement. Quels sont les inconvénients ? Il est juste de dire qu'il est plus beau qu'il ne sent L'odeur et la saveur de la spiruline peuvent être fortes. \"La façon la plus simple de la décrire est de se tenir dans le port et de sentir cette odeur mixte de poisson et de fer ou de métal\", explique le chef Simon Perez. Et la couleur pose également un problème : si vous donnez aux gens un pain vert, la plupart d'entre eux ne voudront pas le manger. En outre, les véritables bienfaits des micro-algues pour la santé font l'objet d'un débat. La spiruline et la chlorelle sont toutes deux riches en protéines, mais les affirmations selon lesquelles elles constituent la réponse nutritionnelle à tous nos problèmes ne sont pas largement étayées par la science. \"La spiruline contient essentiellement entre 55 et 70 % de protéines en poids et son profil en acides aminés est meilleur que celui des autres aliments d'origine végétale\", explique le nutritionniste Rhiannon Lambert, \"mais cela ne signifie pas qu'elle est meilleure que les protéines d'origine animale que nous pouvons obtenir\". A regarder sur BBC Afrique: Devenue millionnaire en mangeant sur YouTube Les micro-algues contiennent des Oméga 3 - un acide gras - donc cette allégation est vraie, mais il s'agit d'une source végétale connue sous le nom de DHA (acide docosahexaénoïque). Bien qu'il soit très bénéfique, il est moins biodisponible et moins accessible que l'oméga 3 que l'on trouve dans le poisson. Il en va de même pour la vitamine B12 des micro-algues, un micronutriment dont nous avons tous besoin pour le métabolisme énergétique et notre système nerveux. \"Le problème de la spiruline, qui est considérée comme une grande composante de la vitamine B12, est qu'elle ne fonctionne pas vraiment\", explique M. Rhiannon. \"Oui, elle contient un peu de B12 mais elle n'est pas biodisponible dans l'organisme.\" Nous ne pouvons pas la digérer et l'utiliser comme la B12 que nous pouvons obtenir d'autres sources. Les micro-algues sont-elles l'avenir de l'alimentation ? C'est votre prochain repas ? En dépit de leurs inconvénients, notamment leurs qualités douteuses de super-aliment, les micro-algues offrent d'énormes avantages. À mesure que la population augmente et que les terres disponibles pour l'agriculture s'étendent, nous devons trouver de nouveaux moyens d'accroître la productivité. Contrairement à d'autres sources de protéines, les micro-algues ne nécessitent pas de terres agricoles de haute qualité. Cela signifie que nous pouvons cultiver ces organismes dans les villes et les villages. Les micro-algues peuvent même être cultivées dans l'espace - et pourraient être utilisées pour nourrir les astronautes lors de longues missions vers Mars. Rendre l'eau des étangs plus appétissante Soyons honnêtes, cela pourrait être difficile à vendre Ainsi, manger des algues est une proposition pratique mais pas tout à fait attrayante pour beaucoup d'entre nous. Mais il y a peut-être une solution à la couleur et à l'odeur décourageantes. Chez Algenuity, on essaie de lever ces obstacles en développant une gamme d'algues dont la chlorophylle est éliminée - créant ainsi un ingrédient qui a plutôt des couleurs et des saveurs neutres et subtiles. \"Ce que nous essayons de faire, c'est d'introduire une source de protéines végétaliennes qui soit pertinente et opportune et qui puisse être utilisée dans de nombreux types d'aliments\", explique le PDG Andrew. \"Il est temps d'envisager de nouvelles opportunités pour l'alimentation et de nouvelles façons d'utiliser les aliments au lieu de se contenter de remplacer les aliments semblables par d'autres\". Les micro-algues sont-elles les aliments de l'avenir ? Cela pourrait dépendre de nous - des petits gâteaux bleus, ça vous dit quelque chose ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56413042", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56403344", "doc1": "ইউরোপের ১১টি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই টিকা দেয়ার পর ব্লাড ক্লট বা শরীরে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ সময়ে এ ধরণের যত ঘটনা ঘটে এই সংখ্যা তার চেয়ে অস্বাভাবিক নয়। ইউরোপের ওষুধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সিও আজ বৈঠক করবে। বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি সিদ্ধান্ত জানাবে সংস্থাগুলো। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের ১৭ মিলিয়ন মানুষকে এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৪০টির কম ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আরো পড়তে পারেন: অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই চলবে কোভিড-১৯: বাংলাদেশে টিকায় আগ্রহ বাড়ার কয়েকটি কারণ সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা স্থগিতের পর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে কোম্পানি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন অপ্রমাণিত এই দাবির সঙ্গে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনসহ ইউরোপের ১১টি দেশে এই টিকাটি প্রদান স্থগিত করার যোগসূত্র থাকতে পারে। অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি দেশে সতর্কতা হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাচের টিকা প্রদান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং ইউক্রেন জানিয়েছে তারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এদিকে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে দেশটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছিল। তিনি এবং তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের শুক্রবারে দ্বিতীয় ডোজ দেবার কথা, কিন্তু ইউরোপে কয়েকটি দেশে টিকাদান স্থগিত করার পর থাই কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মসূচী থামিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি বলছে? রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনাগুলো ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে হয়েছে এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন নিশ্চিত তথ্য ও প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথে জনগণকে জানিয়ে দেবে বল জানান ওই কর্মকর্তা। ইউরোপের ওষুধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইএমএ'ও এই মূহুর্তে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করছে। সংস্থাটি বলছে, টিকা প্রদান চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ইএমএ আরো বলছে, টিকার উপকারিতার তুলনায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনা এখনো অনেক কম। যুক্তরাজ্যের ওষুধ বিষয়ক সংস্থা বলছে, ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে রক্ত জমাট বেধেছে, সে বিষয়ে প্রমাণ মেলেনি, এবং দেশটির নাগরিকদের যথাসময়ে টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কী বলছে? অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, টিকা দেয়ার ফলে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এমন কোন প্রমাণ নেই। সংস্থাটি বলছে, পুরো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্য মিলে যারা টিকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ডিপ-ভেইন থ্রম্বোসিস ডিভিটি—মানে শিরায় রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মোট ১৫টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পালমোনারি এম্বোলিজম---মানে যেখানে জমাট বাধা রক্তের কণিকা ফুসফুসে চলে যাবার ২২টি ঘটনা ঘটেছে। এই মূহুর্তে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা পৃথিবীর ৭০টি দেশে দেয়া হচ্ছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছে ৬৫টি দেশে। মর্ডানার টিকা দেয়া হচ্ছে ৩২ টি দেশে এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে ১৯টি দেশে। এছাড়া রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ১৭টি দেশে, চীনের সিনোভ্যাক ১১টি দেশে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে কী বলছে বাংলাদেশের স্বাস্ব্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশ আমরা টিকা স্থগিতের মতো কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছেনি। যে পাঁচ-ছয়টি বা সাতটি দেশে তারা বন্ধ করেছে, তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সেটা করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য দেশগুলো থেকে লিখিতভাবে কোন বারণ করেনি।'' ''অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে উপাদানগুলো রয়েছে, রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। যেহেতু সম্পর্ক নেই, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশে এই কার্যক্রম বন্ধ করতে পারি না। কারণ বাংলাদেশের মতো দেশগুলো শতভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে চলেছে'', স্বাস্থ্য সচিব বলেন। ''অক্সফোর্ডের যে টিকা আমরা নিয���ে এসেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বলে যে, এটা দেয়া যাবে না, এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে যদি তারা আমাদের চিঠি দেয়, তাহলে তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা অপেক্ষায় আছি।'' বলছেন মি. মান্নান।", "doc2": "Ces pays rejoignent ainsi plusieurs petites nations européennes qui ont interrompu les vaccinations par précaution, le temps de procéder à des vérifications. L'Organisation mondiale de la santé (OMS) a déclaré qu'il n'y avait aucune preuve que les incidents étaient causés par le vaccin. Elle a déclaré qu'elle examinait les rapports relatifs au vaccin, mais qu'il était important de poursuivre les vaccinations. Elle a ajouté qu'il était de bonne pratique d'enquêter sur les effets indésirables potentiels. Un certain nombre de personnes ont été affectées par des caillots sanguins en Europe après l'administration du vaccin. Toutefois, les experts affirment que le nombre de cas signalés après l'administration du vaccin n'était pas supérieur à ceux habituellement signalés dans la population générale. Selon AstraZeneca, environ 17 millions de personnes dans l'UE et au Royaume-Uni ont reçu une dose du vaccin, et moins de 40 cas de caillots sanguins ont été signalés jusqu'à la semaine dernière. Quelles sont les mesures prises ? Le ministère allemand de la santé a annoncé lundi qu'il cesserait d'administrer le vaccin Oxford-AstraZeneca avec effet immédiat, sur recommandation de l'Institut Paul Ehrlich (PEI), l'autorité du pays en matière de vaccins. \"Le contexte de cette décision fait suite à de nouveaux rapports de cas de thrombose veineuse cérébrale liés à une vaccination AstraZeneca\", a déclaré le ministre de la Santé, Jens Spahn. \"À la lumière de ces nouveaux cas signalés, l'Institut Paul Ehrlich a réévalué aujourd'hui la situation et a recommandé une suspension des vaccinations et des analyses supplémentaires.\" A ne pas manquer sur BBC Afrique : Il a affirmé que la décision n'était \"pas politique\". \"Nous sommes tous très conscients des conséquences de cette décision, et nous n'avons pas pris cette décision à la légère\", a-t-il ajouté. Peu après, le président français Emmanuel Macron a déclaré que la France suspendait le vaccin jusqu'à ce que l'Agence européenne du médicament (EMA) donne un nouvel avis mardi après-midi. \"Nous avons une ligne simple, celle d'être informés par la science et les autorités sanitaires compétentes et de le faire dans le cadre d'une stratégie européenne\", a-t-il déclaré. Et l'agence italienne des médicaments a étendu à l'ensemble du pays une interdiction introduite sur des lots individuels du vaccin, également dans l'attente de la décision de l'EMA. Ces suspensions sont intervenues moins d'un jour après que les Pays-Bas aient fait de même. Cette suspension durera au moins jusqu'au 29 mars. La République d'Irlande, le Danemark, la Norvège, la Bulgarie et l'Islande ont également interrompu temporairement les injections avec le vaccin, tandis que la République démocratique du Congo et l'Indonésie ont reporté le lancement de leurs campagnes. Plusieurs pays européens, dont l'Autriche, ont suspendu l'utilisation de certains lots du médicament par mesure de précaution. La Thaïlande a annoncé qu'elle commencerait à utiliser le vaccin mardi, après un bref report du déploiement pour des raisons de sécurité. Le Premier ministre canadien Justin Trudeau a déclaré que des experts de la santé lui avaient assuré que tous les vaccins administrés dans le pays, y compris celui d'AstraZeneca, étaient sûrs. Que disent l'OMS et les autres experts ? Le porte-parole de l'OMS, Christian Lindmeier, a déclaré que l'organisation enquêtait sur ces rapports. \"Dès que l'OMS aura acquis une compréhension complète de ces événements, les conclusions et toute modification des recommandations actuelles seront immédiatement communiquées au public\", a-t-il déclaré. Lire aussi : \"À ce jour, rien ne prouve que les incidents sont causés par le vaccin et il est important que les campagnes de vaccination se poursuivent afin que nous puissions sauver des vies et endiguer les maladies graves causées par le virus.\" L'Association médicale européenne - qui mène également une étude sur les incidents liés aux caillots sanguins - a déclaré que le vaccin pouvait continuer à être administré. L'autorité britannique de réglementation des médicaments a également déclaré que les preuves \"ne suggèrent pas\" que le vaccin provoque des caillots, tout en exhortant les habitants du pays à se faire vacciner lorsqu'on leur demande de le faire. Le professeur Andrew Pollard, directeur du groupe de vaccination d'Oxford qui a développé le vaccin Oxford-AstraZeneca, a déclaré à l'émission Today de la BBC qu'il existait \"des preuves très rassurantes qu'il n'y a pas d'augmentation du phénomène des caillots sanguins ici au Royaume-Uni, où la plupart des doses en Europe ont été administrées jusqu'à présent\". Le droit de poser des questions - Analyse de Michelle Roberts, Rédactrice en chef Santé Alors qu'un grand nombre de personnes sont vaccinées à un rythme soutenu dans le monde entier, certaines d'entre elles tomberont quand même malades à cause d'autres maladies sans rapport avec le vaccin. Ces pauses pour le vaccin d'AstraZeneca ne sont pas dues au fait qu'il n'est pas sûr. Il s'agit de laisser le temps aux experts d'étudier pourquoi un petit nombre de personnes ayant récemment reçu le vaccin ont également développé des caillots sanguins. Lorsqu'une maladie survient peu de temps après une vaccination, il est légitime de se demander si l'injection n'y a pas contribué d'une quelconque manière. Cependant, rien n'indique ni ne prouve que le vaccin soit lié ou responsable. Au Royaume-Uni, plus de 11 millions de personnes ont déjà reçu au moins une dose du vaccin d'AstraZeneca et il n'y a eu aucun signe de surmortalité ou de caillots sanguins. L'autorité européenne de réglementation des médicaments a également soutenu le vaccin, affirmant que ses avantages sont clairs. Le covid peut être mortel et la vaccination sauve des vies. Qu'a dit AstraZeneca ? AstraZeneca a déclaré qu'il n'y avait aucune preuve d'un risque accru de coagulation dû au vaccin. Selon AstraZeneca, dans l'UE et au Royaume-Uni, 15 cas de thrombose veineuse profonde (TVP) - un caillot de sang dans une veine - et 22 cas d'embolie pulmonaire - un caillot de sang qui pénètre dans les poumons - ont été signalés parmi les personnes vaccinées. A regarder : Coronavirus : comment fonctionne un vaccin ? AstraZeneca a déclaré que ces chiffres étaient \"beaucoup plus faibles que ce que l'on pourrait s'attendre à voir se produire naturellement dans une population générale de cette taille et qu'ils étaient similaires à ceux des autres vaccins Covid-19 autorisés\". \"La nature de la pandémie a conduit à une attention accrue pour les cas individuels et nous allons au-delà des pratiques standard de surveillance de la sécurité des médicaments homologués en signalant les événements liés aux vaccins, afin de garantir la sécurité publique\", a déclaré Ann Taylor, médecin en chef de la société."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49841050", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-41294883", "doc1": "মিয়ানমারে ফিরে যেতে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছে রোহিঙ্গারা গত দুবছরই জাতিসংঘে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে প্রাধাণ্য পেয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যু। ২০১৭ সালের অগাস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যা, নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। বর্তমানে ১১ লক্ষের মত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেই পাঁচটি প্রস্তাব গুলো হল: ১.অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও 'জাতিগত নিধন' নিঃশর্তে বন্ধ করা। ২. অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা। ৩. জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় (safe zones) গড়ে তোলা। ৪. রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫. কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। ২০১৮ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক বৈশ্বিক প্রভাব শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি আরো তিনটি সুপারিশ করেন। সুপারিশ গুলো হল: ১ . মিয়ানমারকে অবশ্যই বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি বিলোপ, এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ ও তাদের সে দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে। ২. মিয়ানমারকে অবশ্যই সকল রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব প্রদানের সঠিক উপায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের ভেতরে 'সেফ জোন' তৈরি করতে হবে। ৩. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য রোধে অপরাধীদের জবাবদিহিতা, বিচার, বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালার আলোকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এই বিষয়ে আরো পড়ুন: রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে শুরু করা গেলো না প্রত্যাবাসন মিয়ানমারে সরকারি স্থাপনা তৈরির জন্য রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার পরিবেশ কি আছে রাখাইনে? 'ইন্ধনদাতা এনজিওগুলোর তালিকা করছে বাংলাদেশ' এখন দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সুপারিশ গুলো বাস্তবায়নের পথে কতটা এগিয়েছে? কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় রয়েছে যারা মূলত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের কাজ করছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব এবং রোহিঙ্গা ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছেন তারা এসব প্রস্তাবের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাচ্ছেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত হূমায়ূন কবির বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব গুলো দিয়েছেন সেগুলো কিছু কিছু বিভিন্নভাবে হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গভাবে কোনটাই সফল হয় নি। মিয়ানমারের ভেতরে 'সেফ জোন' ও ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালা মি. কবির বলছিলেন \"আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যে সকলেই যদি সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে তাহলে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব\" আন্ত��্জাতিক সম্প্রদায় বলতে তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে ৫টি সদস্য দেশ রয়েছে তাদের কথা বলেছেন। সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিনি বলছিলেন \"তাদের মধ্যে একটা ঐক্যমত্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। যেহেতু সেই ঐক্যমত্যের জায়গা তৈরি হয়নি তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারিনি\"। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তিনি বলছিলেন \"মিয়ানমারের ভিতরে সেফ জোন তৈরি করা বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সেই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তার কোন নিশ্চয়তা দেখছি না\"। তবে বিচারের বিষয়ে যে সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন তার কিছুটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন মি. খান। তিনি মনে করেন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে দালিলিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যেটা কাজে লাগবে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম ও নির্যাতনের বিচার ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের পর একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম তৈরি করা হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে। রোহিঙ্গাদের আগমনের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে শরণার্থী শিবিরে সমাবেশ। সম্প্রতি তারা একটা রির্পোট তৈরি করেছেন। সেখানে তারা কিছু সুপারিশমালা তৈরি করেছেন। মি. কবির বলছেন \"যে জায়গাগুলোতে সফলতা অর্জন করা গেছে সেজায়গাগুলো মূলত দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক পর্যায়ে রয়েছে\"। জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে চীন,বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। তারা তদারকি করবে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কতটা অগ্রসর হল কি হল না। মি. কবির 'এই ফোরামের থিউরিটিক্যাল বা তাত্ত্বিক মুভমেন্ট লক্ষ্য করছেন' বলে উল্লেখ করেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম মিয়ানমারে কী কী অপরাধ হয়েছে বা হয়নি সেগুলো মূল্যায়ন করে তারা একটা সিদ্ধান্তের জায়গায় পৌঁছেছে যে মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, মানবতা-বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এবং একটা জনগোষ্ঠীকে উৎখাতের জন্য বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম বলেছে এই ডকুমেন্ট বা তথ্যগুলো জাতিসংঘে সংরক্ষিত থাকবে। যদি কখনো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) মিয়ানমারের যারা এই অপরাধ করেছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, তাহলে তাদের অপরাধকে প্রমাণ করার জন্য সাক্ষী হিসেবে এই তথ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে গঠন করা হয় এই কমিশন যদিও মিয়ানমার বলছে যে তারা কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করছে কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, পর্যবেক্ষক এবং রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের উপর সেই ভরসা পাচ্ছে না। \"কারণ তারা যে কথা বলছে এবং কাজ করছে তার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে\" বলে মন্তব্য করেন মি. কবির। মি. খান বলছিলেন, কফি আনান কমিশন একটা প্রতিবেদন দিয়েছে এটাই একটা অগ্রগতি। এছাড়া দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। \"তবে এই রিপোর্ট ধরে ধরে কোন কিছুরই অগ্রগতি হচ্ছে না। কেবল মাত্র বিচারের ক্ষেত্রে তথ্য অনুসন্ধান, দালিলিক প্রমাণ , সাক্ষ্য গ্রহণ এই কাজটি এগুচ্ছে এর বাইরে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নেই\" বলছিলেন মি.খান। প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ দুইবার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে। ওপারে বাংলাদেশ সীমান্ত, এপারে মিয়ানমার। এই পথ ধরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি হয় নি বরং কয়েকটি দফা তারা তুলে ধরে যেগুলো পূরণ না হলে তারা ফেরত যাবে না বলে জানিয়েছে অগাস্টে টেকনাফের উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করা এক সমাবেশে। মি. খান বলছিলেন \"রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য যে পরিবেশ তৈরি করা দরকার , যে আইনি স্বীকৃতি থাকা দরকার সে বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ মিয়ানমারের তরফ থেকে দেখা যায় নি\"। \"রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে সব করতে হবে এখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই। আন্তর্জাতিক মহলকে সাথে নিয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করা, যাতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে মিয়ানমার এই জায়গাগুলোতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে\" বলছিলেন মি. খান। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে দুই দফা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে করে তিনি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন। জনমত গঠনে এটা ভূমিকা রেখেছে। তবে যে মাত্রায় মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার সেই মাত্রায় আন্তর্জাতিক মহল অংশ নিতে পার���নি, বলছেন পর্যবেক্ষকরা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার প্রস্তাব কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান কি সফল হবে? সৎ বাবার জোড়া খুনে বদলে গেছে যে সাংবাদিকের জীবন ক্ষমতাসীনদের সাথে সমঝোতা ছাড়া কি ব্যবসা করা সম্ভব?", "doc2": "Sheikh Hasina, la Première ministre du Bangladesh, s'est envolée pour New York Elle va appeler à la solidarité internationale face à l'afflux dans le sud du pays de plus de 400.000 Rohingyas fuyant la Birmanie. En trois semaines, Cox Bazar, où se concentrent les réfugiés, les campements de fortune s'étendent à perte de vue. La situation a entrainé une dégradation de la situation humanitaire alors que l'aide peine à se structurer. Selon Marixie Mercado, la porte-parole de l'Unicef, \"les gens souffrent de plus en plus\" parce qu'il y a plus de gens que de nourriture. Lire aussi: L'Organisation mondiale de la santé (OMS) a commencé à vacciner les enfants, qui représentent 60% des réfugiés, contre la rougeole et la rubéole. L'ONU dénonce une \"épuration ethnique\" menée par la Birmanie, dont l'armée mène une vaste opération de représailles après des attaques de rebelles rohingyas le 25 août dernier."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49617021", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50208201", "doc1": "কিন্তু প্রশ্ন আসে, ইন্টারনেটের এই যুগে আজকাল মানুষ যেভাবে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে কোথায় ছুটি কাটাতে যাবে সে সম্পর্কেও অনলাইনে পোস্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, তখন কি আসলে এভাবে ক্ষণিক সময়ের জন্য হলেও সবার পক্ষে বেনামী হওয়া সম্ভব? এই মন্তব্যটিও অ্যান্ডি ওয়ারহলের 'ফিফটিন মিনিটস অব ফেম' লাইনটির মতো অনেক ধরণের অর্থবোধক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন ভক্ত এবং সমালোচকরা। তবে ২১ শতকে কোন কিছু গোপন রাখা যে রীতিমতো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মন্তব্যটি সেই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। \"বর্তমানে আমাদের কাছে অনেক ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস রয়েছে যাতে অনেক ধরণের সেন্সর বসানো থাকে। এই সেন্সরগুলো আমাদের সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে,\" বলেন অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভিক্টর মায়ের-শোয়েনবের্গের। আরো পড়তে পারেন: ফোনে আপনার কথা কি ব্যবসায়ীরা শুনে ফেলছে সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙ্গে ভাইরাল 'ডিম বালক' ফোরজি সেবার নামে যা দেওয়া হচ্ছে তা 'স্রেফ প্রতারণা' আর এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যারিয়ারবিল্ডার নামে একটি নিয়োগ সংস্থার জরিপ মতে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ ভাগ কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষণ করে চাকরি প্রার্থীদের বাছাই করে। আর ৪৮% কোম্পানি তাদের বর্তমান কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ডে নজর রাখে। এছাড়া, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে খোঁজ-খবর করতে পারে। 'রেপুটেশন ডিফেন্স বা সম্মান বাঁচানোর প্রতিরক্ষা' নামে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থাকলেও এগুলো ব্যাঙ্কসির দৃষ্টিভঙ্গি '১৫ মিনিটের জন্য সবাই বেনামী হবে' তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে কি? এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কোম্পানি, ক্রেতাদের ক্রয় অভ্যাস, রাজনৈতিক মতাদর্শের মডেল তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে। অনেক সময় এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সহায়তা নেয়া হয়। এ থেকে বাঁচার একটি উপায় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল ডিলিট বা মুছে ফেলা। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর অনেকেই এ কাজটি করেছিলেন। ওই ঘটনায় ৮ কোটি ৭০ লাখের মতো মানুষের ফেসবুকের তথ্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সুবিধার জন্য গোপনে ব্যবহার করা হয়েছিলো। ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার অন্যতম একটি উপায় যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা কিন্তু এর ফলে, অন্যান্য কোম্পানির হাতে থাকা তথ্যের মুছে ফেলার ক্ষেত্রে এটি তেমন কোন কাজে আসবে না। সৌভাগ্যবশত, বিশ্বের অনেক দেশে এ বিষয়ে সহায়তার জন্য আইন রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ তথ্য সুরক্ষা নীতি বা (GDPR) অনুযায়ী, \"রাইট টু বি ফরগটেন বা বিস্মৃত হওয়ার অধিকার\" রয়েছে- অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি চাইলে তার নিজের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলতে পারেন। যুক্তরাজ্যে এই বিষয়টি দেখে থাকে তথ্য কমিশনারের কার্যালয়। বিবিসি-কে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নিজের সব তথ্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে মুছে ফেলার ৫৪১টি আবেদন জমা পড়েছে। যে সংখ্যা এর আগের বছর ছিলো ৪২৫ টি এবং ২০১৬-১৭ সালে ছিলো ৩০৩টি। তবে ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের কার্যালয় (আইসিও) দাবি করে, এই প্রকৃত সংখ্যা আসলে আরো বেশি। কারণ, ওই সব আবেদনের বিষয়েই তালিকায় উল্লেখ করা হয়, যেগুলোর তথ্য মুছে ফেলতে অসম্মতি জানানোর পর এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আইসিও'র কর্মকর্তা সুজান গর্ডন বলেন, এটা আসলে পরিষ্কারভাবে বলা যায় না। \"কেউ যদি মনে করে যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তার সম্পর্কিত কোন তথ্য আর কাজে লাগবে না, তখন সে তার ওই তথ্য মুছে ফেলার অধিকারকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে জিডিপিআর।\" \"যাই হোক এই অধিকার আসলে শর্তহীন নয়। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে এটি অন্য কোন বা কারো অধিকার ও স্বার্থ বিরোধী কিনা সেটারও ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হয়। উদা��রণ হিসেবে বলা যায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা।\" \"বিস্মৃত হওয়ার অধিকার\" ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১৪ সালে এবং এর ফলে ব্যাপক হারে তথ্য মুছে ফেলার আবেদন আসতে শুরু করে। সর্ব প্রথম এ ধরণের আবেদন করেন সাবেক এক রাজনীতিবিদ যিনি পুনঃনির্বাচন করতে চেয়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিলো। কিন্তু এধরণের সব আবেদন অনুমোদিত হয়নি। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের টাকা রয়েছে তারা নিজেদের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ ভাড়া করে। অনলাইন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার সেবা দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সুনাম প্রতিরক্ষা বা 'রেপুটেশন ডিফেন্স' নিয়ে পুরো একটি শিল্পখাত তৈরি হয়েছে। অনেক ফার্ম রয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে তথ্য মুছে ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি প্রস্তুত রয়েছে। আর উদাহরণস্বরূপ, এরা সার্চ ইঞ্জিন থেকে খারাপ সংবাদ মুছে ফেলার কাজও করে। এ ধরণের একটি প্রতিষ্ঠান, ডিফেন্স ডিফেন্ডার ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায় যে, তাদের কাছে অন্তত ১০ লাখ গ্রাহক রয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন ধনী ব্যক্তি, পেশাজীবী এবং প্রধান নির্বাহীরা। প্রতিষ্ঠানটির একেকটি প্যাকেজ সেবার জন্য ৫ হাজার পাউন্ড বা সাড়ে ৫ হাজার ডলার নিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের গ্রাহকদের তথ্য খোঁজার ফল গুগল সার্চে পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আর এর ফলে গুগলে অনুসন্ধান করলে ওই গ্রাহকদের সম্পর্কিত নেতিবাচক তথ্য কম আর ইতিবাচক তথ্য বেশি থাকে। \"এই প্রযুক্তি, অনুসন্ধান করার ফলাফলে ওয়েবসাইটগুলোকে ক্রমানুসারে সাজাতে, গুগল কি ধরণের তথ্যের উপর গুরুত্ব দেয় তার উপর ফোকাস করে,\" বলেন মহাব্যবস্থাপক টনি ম্যাকক্রিস্টাল। \"সাধারণত দুটি বিষয়কে গুগল গুরুত্ব দিয়ে থাকে, একটি ওয়েব অ্যাসেটের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কর্তৃত্ব এবং অপরটি হচ্ছে, তথ্য অনুসন্ধানের ফলের সাথে ব্যবহারকারীরা কিভাবে সংশ্লিষ্ট হয় তা গুগল যেভাবে লক্ষ্য করে সেটি।\" \"আমরা গুগলকে দেখাতে চাই যে, আমরা যে সাইটগুলোর উন্নতি করতে চাই সেগুলো নিয়ে মানুষের অনেক বেশি আগ্রহ রয়েছে এবং এগুলো বেশ সচলও বটে। তা সে আমাদের তৈরি করা নতুন কোন ওয়েবসাইটই হোক কিংবা এরইমধ্যে গুগলের সার্চে ইঞ্জিনে থাকা যেকোন ওয়েবসাইটই হোক না কেন। আর যে সাইটগুলো বা��িল করতে চাই সেগুলো সম্পর্কে আসলেই মানুষের তেমন কোন আগ্রহ থাকে না।\" নিজেদের তৈরি করা লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১২ মাসের সময় সীমা নির্ধারণ করেছে এই ফার্ম বা প্রতিষ্ঠানগুলো। \"এটা উল্লেখযোগ্য ভাবে কার্যকর,\" তিনি বলেন। \"৯২% মানুষই গুগলের প্রথম পাতাটি কখনো না দেখে চলে যায় না। আর ৯৯% এরও বেশি মানুষ কখনো গুগলের দ্বিতীয় পাতার পরে আর দেখে না।\" অধ্যাপক মায়ের শোয়েনবের্গের বলেন, এ ধরণের সুনাম রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান গুলো যদি আসলেই কার্যকর হয় তাহলে \"এটা বোঝা কঠিন যে এর থেকে কেন শুধু বিত্তবানরাই লাভবান হবে, সাধারণ মানুষ কেন কোন সুবিধা পাবে না।\" অ্যান্ডি ওয়ারহল একসময় ধারণা করে বলেছিলেন যে, সবাই ১৫ মিনিটের জন্য বিখ্যাত হবে তাহলে আমরা কি আসলেই কখনো অনলাইনের উপাত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবো? \"সাধারণভাবে বলতে গেলে, না,\" বলেন ডিলিট-মি প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রব শ্যাভেল। এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার, তথ্য কেনা-বেচাকারী এবং সার্চ ওয়েবসাইট থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলতে কাজ করে। \"ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারী সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরিচালনা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি কারো সব ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলা সম্ভব নয়।\" \"ভোক্তার ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সংগ্রহ, বিনিময় এবং বিক্রি হবে সে সম্পর্কে বলার মতো অধিকার প্রতিষ্ঠায় শক্ত কোন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে বিদ্যমান গোপনীয়তার ভারসাম্যের অভাবকে কখনোই সামনে আনা যাবে না।\" বিবিসি বাংলায় আরও খবর: আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী নাগরিকত্ব হারানো চার হতভাগ্যের বয়ান বিবিসির কাছে গর্ভেই নির্ধারিত হয়ে যায় সন্তানের ব্যক্তিত্ব", "doc2": "Mais à l'heure du 'tout sur Internet', du statut relationnel aux destinations de vacances, est-il vraiment possible d'être anonyme - même brièvement ? La question met en évidence la réelle difficulté de garder quelque chose privée au 21ème siècle. \"Aujourd'hui, nous avons plus d'appareils numériques que jamais et ils ont plus de capteurs qui collectent plus de données nous concernant\", rappelle le professeur Viktor Mayer-Schoenberger du Oxford Internet Institute. Et c'est important. Selon un sondage réalisé en 2018 par la société de recrutement Careerbuilder, aux États-Unis, 70 % des entreprises utilisaient les médias sociaux pour filtrer les candidats et 48 % vérifiaient l'activité du personnel actuel sur les médias sociaux. De plus, les institutions financières peuvent vérifier les profils sur les réseaux sociaux lorsqu'elles décident d'accorder ou non des prêts. A lire aussi Est-il vraiment possible d'être anonyme à l'ère d'Internet ? Pendant ce temps, les entreprises créent des modèles d'habitudes d'achat, d'opinions politiques et utilisent même l'intelligence artificielle pour évaluer les habitudes futures en fonction des profils disponibles sur les réseaux sociaux. Une façon d'essayer de prendre le contrôle est de supprimer les comptes de médias sociaux ; ce que certains ont fait après le scandale de Cambridge Analytica, lorsque 87 millions de personnes ont vu leurs données Facebook récoltées en secret à des fins de publicité politique. La suppression de ces comptes peut être le moyen le plus évident de supprimer des données personnelles, mais cela n'aura pas d'impact sur les données détenues par d'autres entreprises. Heureusement, dans certains pays, la loi offre une protection. Au sein de l'Union européenne, le Règlement général sur la protection des données (RGPD) inclut le \"droit d'être oublié \" - le droit d'une personne de voir ses données personnelles supprimées. Au Royaume-Uni, c'est le Bureau du Commissaire à l'information qui s'occupe de cette question. L'an dernier, elle a reçu 541 demandes de retrait d'informations des moteurs de recherche, selon les données présentées à la BBC, contre 425 l'année précédente et 303 en 2016-17. Julie Owono : \" Internet permet la libre expression et l’instauration de la démocratie \". Les chiffres réels peuvent être plus élevés, car l'OIC affirme qu'elle n'intervient souvent qu'après le rejet d'une plainte initiale déposée auprès de l'entreprise qui détient l'information. Mais Suzanne Gordon, de l'OIC, déclare que ces procédures ne sont pas claires. \"Le GDPR a renforcé le droit des personnes de demander à une organisation de supprimer leurs données personnelles si elles estiment qu'il n'est plus nécessaire qu'elles soient traitées\". \"Toutefois, ce droit n'est pas absolu et, dans certains cas, il doit être mis en balance avec d'autres droits et intérêts concurrents, par exemple la liberté d'expression\". Le \"droit à l'oubli\" a pris de l'importance en 2014 et a donné lieu à un large éventail de demandes d'informations à supprimer - les premières émanaient d'un ex-politicien cherchant à se faire réélire et d'un pédophile - mais toutes ne doivent pas nécessairement être acceptées. Comment gagner sa vie avec un ordinateur et internet ? | Podcast Afrique Avenir Les entreprises et les particuliers, qui ont les moyens, peuvent engager des experts pour les aider. Toute une industrie se construit autour de la \"défense de la réputation\" avec des entreprises qui exploitent la technologie pour supprimer l'information et enterrer les mauvaises informations dénichées par les moteurs de recherche, par exemple. Un service payant. L'une de ces sociétés, Reputation Defender, fondée en 2006, affirme avoir un million de clients, dont des particuliers fortunés, des professionnels et des chefs d'entreprise. Elle facture environ 5.500 $ pour son forfait de base. Elle utilise son propre logiciel pour modifier les résultats des recherches Google sur ses clients, ce qui permet de réduire le nombre d'articles moins favorables dans les résultats et d'en promouvoir de plus favorables. Les cabinets de défense de la réputation visent à supprimer les renseignements personnels des bases de données et des sites Web publics en ligne. \"La technologie se concentre sur ce que Google considère comme important lors de l'indexation des sites Web en haut ou en bas des résultats de recherche\", explique Tony McChrystal, directeur général. \"En général, les deux principaux domaines prioritaires de Google sont la crédibilité et l'autorité de l'actif Web, la façon dont les utilisateurs s'engagent dans les résultats de recherche et le chemin que Google voit chaque individu suivre\". \"Nous nous efforçons de montrer à Google qu'un plus grand volume d'intérêts et d'activités se produit sur les sites que nous voulons promouvoir, qu'il s'agisse de nouveaux sites Web que nous avons créés ou de sites établis qui apparaissent déjà dans les [pages de résultats Google], alors que les sites que nous cherchons à supprimer montrent un pourcentage global d'intérêt inférieur\". L'entreprise s'engage à atteindre l'objectif qu'elle s'est fixée dans un délai de 12 mois. \"C'est remarquablement efficace, ajoute-t-il, puisque 92% des gens ne s'aventurent jamais au-delà de la première page de Google et plus de 99% ne vont jamais au-delà de la deuxième page\". Mayer-Schoenberger souligne que, si les entreprises de défense de la réputation en ligne peuvent être efficaces, \"il est difficile de comprendre pourquoi seuls les riches peuvent se permettre l'aide de tels experts alors que chacun devrait en bénéficier\". Andy Warhol a prédit qu'un jour tout le monde serait célèbre pendant 15 minutes. Peut-on se débarrasser complètement de toutes ses traces en ligne ? C'est \"non\", pour Rob Shavell, cofondateur et directeur général de DeleteMe, un service d'abonnement qui vise à supprimer les renseignements personnels des bases de données publiques en ligne, des courtiers en données et des sites de recherche. On ne peut pas être complètement effacé d'Internet à moins que toutes les entreprises et les particuliers qui exploitent des services Internet ne soient forcés de changer fondamentalement leur mode de fonctionnement. \"La mise en place d'une réglementation et son application rigoureuse peuvent permettre aux consommateurs d'avoir leur mot à dire sur la façon dont leurs renseignements personnels peuvent être recueillis, partagés et vendus. Cela contribuerait grandement à corriger le déséquilibre actuel de la protection de la vie privée\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49094976", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49134045", "doc1": "তবে গরম এড়িয়ে কিভাবে সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় সে বিষয়ে ১০টি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের লাফবারাহ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল স্লিপ রিসার্চ ইউনিটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক কেভিন মরগান এবং স্লিপ কাউন্সিলের লিসা আর্টিস এ বিষয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তা তুলে ধরা হল। ১. কোন দিবানিদ্রা নয় গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা মোটেও একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো। আরো পড়তে পারেন: ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? ঘুম নিয়ে যেসব ধারণা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, কিন্তু ভালো ঘুমের রহস্য কী? রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনে ঘুম ঘুম ভাব বেশি থাকে। ২. সময় গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে। ৩. শোয়ার ঘর ঠাণ্ডা রাখতে হবে রাতে যাতে শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা থাকে তার জন্য ছোট-খাটো কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার জন্য পর্দাগুলো টেনে রাখা যেতে পারে। বাড়ির যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে, সেদিকের জানালা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এতে করে বাইরে গরম বাতাস ঘরের ভেতর ঢুকতে পারবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে জানালা গুলো খুলে দিতে হবে যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে। এক নারী আই মাস্ক পরে ঘুমাচ্ছেন। ৪. বিছানা বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় ���িছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়। তবে গরমে ঘরের পরিবেশ গরম থাকলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়। যার কারণে মাঝে মাঝে শীত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাঁথা রাখা যেতে পারে। ৫. পাখার ব্যবহার গরম আবহাওয়ায় ছোট একটি পাখাও বেশ কাজে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন ঘাম হয়। পাখার বাতাস ঘাম দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে। যা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে পাখা না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে পানি গরম রাখার ব্যাগে গরম পানির পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানি রেখে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। শুনতে অদ্ভুত হলেও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে ভেজা মোজা। যে মোজাটি পরবেন সেটি আগে থেকেই ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে তারপর পরুন। এতে আপনার ত্বক ও শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে আসবে। ৬. বেশি করে পানি পান করুন সারা দিন ঘন ঘন পানি পান করুন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক সাথে বেশি পরিমাণে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। একদিকে আপনি যেমন তৃষ্ণার্ত হয়ে ঘুম থেকে জাগতে চাইবেন না, ঠিক সেভাবে বেশি পরিমাণে পানি পান করে নিশ্চয়ই রাতে বেশ কয়েক বার বাথরুমে যাওয়া এড়াতে চাইবেন আপনি। ৭. কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না। সেই সাথে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। মদ খাওয়া ঘুমের জন্য উপকারি, এমনও ধারণা প্রচলিত আছে অনেক মাঝে। অনেকেই গরম আবহাওয়ার কারণে বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে থাকেন, যা ঠিক নয়। কারণ অ্যালকোহল ঘুম পাড়িয়ে দিতে সাহায্য করলেও শেষ রাতে ঘুম ভাঙার প্রবণতা তৈরি করে এবং সর্বোপরি ঘুমের মান কমিয়ে দেয়। ৮. শান্ত থাকুন ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরো দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। আর ঘুম আসলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যেতে ��বে। ৯. শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন বলা হয় যে, সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় শিশুদের। তবে পরিবারের মধ্যে ছোট কিছুর পরিবর্তনও তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা তৈরি করতে পারে। গরমের কারণে ঘুম থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরাও তাই তাদের ঘুমাতে যাওয়ার এবং গোসল করার সময় ও অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন। গরমের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না তাদের। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল খুব ভালো ঘুমে সহায়ক। শিশুরা যেহেতু বলতে পারে না তাই শিশু ঘুমালে তার কপাল, পিঠ এবং পেটে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে সে অতিরিক্ত গরম অনুভব করছে কিনা। ১০. ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হলে প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। কিন্তু ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ। এর কারণে দিনে দু-একবার হাই তুলতে হলেও তা আসলে স্বাস্থ্যের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না।", "doc2": "La hausse des température touche tous les continents Mais il y a des choses que vous pouvez faire pour vaincre la canicule. Voici quelques conseils. 1. Pas de siestes Le temps chaud peut nous faire nous sentir un peu léthargiques pendant la journée. C'est parce que nous utilisons plus d'énergie pour réguler notre température interne. Lire aussi : Réguler son sommeil pour améliorer son bien-être Huit conseils pour dormir comme un footballeur de Premier League Mais si votre sommeil est perturbé la nuit, essayez d'éviter de faire la sieste pendant la journée. Quand il fait chaud, la somnolence peut être précieuse - gardez-la pour l'heure du coucher. 2. Respectez les routines Le temps chaud peut vous encourager à changer vos habitudes. Ne faites pas ça. Cela peut perturber le sommeil. Essayez de respecter l'heure habituelle du coucher et votre routine. Faites ce que vous feriez normalement avant de vous coucher. 3. Souvenez-vous de l'essentiel Prenez des mesures pour vous assurer que votre chambre à coucher est aussi fraîche que possible la nuit. Pendant la journée, tirez les rideaux ou les stores pour empêcher le soleil d'entrer. Assurez-vous de fermer les fenêtres du côté ensoleillé de votre maison afin d'empêcher l'air chaud d'y pénétrer. Ouvrez toutes les fenêtres avant d'aller au lit, pour avoir un courant d'air. Le sommeil en chiffres 8 heures : c'est environ le temps de sommeil nécessaire 97 %: des travailleurs de nuit n'arrivent pas à s'adapter à ce schéma 11 jours : la période sans dormir la plus longue enregistrée 20-30 minutes : la durée idéale pour une sieste 18,5 degrés : température optimale de la pièce 4. Utilisez des draps légers Réduisez votre literie, mais gardez des couvertures à portée de la main. Les draps minces en coton absorbent la transpiration. Quelle que soit la chaleur dans votre chambre à coucher, votre température corporelle chutera pendant la nuit. C'est pourquoi nous nous réveillons parfois en ayant froid. 5. Réfrigérez vos chaussettes Même l'utilisation d'un petit ventilateur peut être judicieuse par temps chaud, surtout lorsqu'il fait humide. Il favorise l'évaporation de la sueur et permet à votre corps de réguler plus facilement votre température interne. Lire aussi : Faut-il se lever tôt le matin ? Pourquoi certaines personnes ne se souviennent pas de leurs rêves Si vous n'avez pas de ventilateur, essayez plutôt de remplir votre bouillotte avec du liquide glacé. Sinon, refroidir les chaussettes en le mettant dans le réfrigérateur. Refroidir vos pieds fait baisser la température globale de votre peau et de votre corps. 6. Restez hydraté Buvez suffisamment d'eau tout au long de la journée, mais évitez de boire de très grandes quantités avant de vous coucher. Vous ne voulez probablement pas vous réveiller assoiffé, mais vous ne voulez pas non plus aller aux toilettes aux petites heures du matin. 7. Mais attention à ce que vous buvez Faites attention aux boissons gazeuses. Beaucoup contiennent de grandes quantités de caféine, ce qui stimule le système nerveux central et nous rend plus éveillés. Évitez également de boire trop d'alcool. Beaucoup de gens boivent plus lorsqu'il fait chaud, car ils se rendent à des fêtes. L'alcool peut nous aider à nous endormir, mais il favorise le réveil tôt le matin et une mauvaise qualité de sommeil en général. L'eau reste le meilleur moyen de se réhydrater Comment les fortes températures affectent-elles le corps ? 8. Restez calme Si vous avez de la difficulté à dormir, levez-vous et faites quelque chose pour vous calmer. Essayez de lire, d'écrire ou même de plier vos chaussettes. Assurez-vous simplement de ne pas jouer sur votre téléphone ou sur un jeu vidéo - la lumière bleue nous réveille et l'activité est stimulante. Retournez au lit lorsque vous vous sentez somnolent. Lire aussi : Les risques de cancer du sein plus faibles chez les lèves-tôt Les éléphants africains, de petits dormeurs 9. Pensez aux enfants Les enfants sont généralement des gros dormeurs, mais ils sont très sensibles aux changements d'\"humeur\" et d'habitude de la famille. Assurez-vous que les heures habituelles du coucher et du bain ne changent pas juste parce qu'il fait chaud. Dans le cadre de la routine du coucher, des bains tièdes sont recommandés par le site Web des services de santé du Royaume Uni. Assurez-vous qu'ils ne sont pas trop froids, car cela stimulera la circulation sanguine (la façon dont votre corps se réchauffe). Les bains tièdes peuvent aider avant le coucher par temps chaud. Un bébé ne peut pas vous dire s'il a trop chaud ou trop froid, alors il est important de surveiller sa température. Ils dormiront mieux quand la température est maintenue entre 16°C et 20°C. Vous pouvez installer un thermomètre à l'endroit où le bébé dort ou vérifier son front, son dos ou son ventre pour voir s'il a chaud au toucher. 10. Passez à autre chose La plupart d'entre nous ont besoin d'environ sept à huit heures de sommeil de bonne qualité chaque nuit pour fonctionner correctement. Mais rappelez-vous que la plupart des gens peuvent bien fonctionner après une nuit ou deux de sommeil perturbé. Même si vous bâillez un peu plus souvent que d'habitude, tout ira probablement bien. Ces conseils sont basés sur les suggestions du professeur Kevin Morgan, ancien directeur de l'unité de recherche clinique sur le sommeil de l'Université de Loughborough, et de Lisa Artis, du Sleep Council."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51691098", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51757114", "doc1": "ভারতে স্বাস্থ্য কর্মীরা মাস্ক পরে কাজ করছেন। বলছেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ২০ বছর বয়সী এক মেডিকেলের ছাত্রী। ভারতে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যেই তিনিই প্রথম আক্রান্ত হন। ধরা যাক তার নাম রাফিয়া। (নিরাপত্তার কারণে তার নামটি গোপন রাখা হলো) বিবিসির কাছে তিনি বলেছেন তার বেঁচে যাওয়ার গল্প। আরো চারজনসহ তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। \"তবে তখনও আমার পরীক্ষার ফল জানানো হয়নি। কেউ আমাকে কিছু বলছিলো না।\" টিভির খবর থেকে জানা তাকে হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। সেখানে তিনি ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করছিলেন টেস্টের ফলাফলের জন্য। সেসময় হঠাৎ করেই তার ফোনে একটি বার্তা এলো। এই জানালা দিয়ে রাফিয়া দেখতে পেতেন বাইরের পৃথিবী। \"আমার এক বন্ধু টেলিভিশন থেকে খবরটি নিয়ে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালো।\" ��ই খবরটি ছিল চীনের উহান শহর থেকে আগত মেডিকেলের এক শিক্ষার্থীর ওপর, যার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। রাফিয়া তখন খুব সহজেই বুঝতে পারলেন টিভির ওই রিপোর্টে আসলে তার কথাই বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, \"আমি যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি সেটা আমি টিভির ওই সংবাদ থেকেই জানতে পারলাম।\" সরকারিভাবে ৩০শে জানুয়ারি জানানো হলো যে তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাস রোগী। ইতিবাচক মনোভাব এক ঘণ্টার মধ্যেই তার কাছে ডাক্তার চলে এলো। তারা তাকে পরীক্ষার ফলাফল জানালেন। চিকিৎসার জন্যে তাকে আরো দীর্ঘ সময় হাসপাতালে রেখে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, টেস্টের রেজাল্ট জানার পর তিনি মোটেও ভীত হননি। \"আমি তো ভালোই ছিলাম। সেসময় আরো অনেকেরই তো সফল চিকিৎসা চলছিলো।\" \"আমি জানতাম এই ভাইরাসটিতে বয়স্ক লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা আছে তারা। আমি নিজেকে শান্ত রেখেছিলাম। চিন্তা ভাবনাও ছিলো ইতিবাচক।\" কর্তৃপক্ষ তখন তাকে নিয়ে বেশ তৎপর হয়ে উঠলো। ২৫শে জানুয়ারি ভারতে ফিরে আসার পর তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের নাম জানতে চাওয়া হলো তার কাছে। বিচ্ছিন্ন জীবন সাথে সাথে এর প্রভাব পড়লো তার পরিবারের ওপর। ফারিয়ার মাকে থ্রিসুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে আলাদা করে রাখা হলো। এই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিলো তারও। কিন্তু তাদের কেউ কাউকে দেখতে পেতেন না। তার পিতা ও এক ভাইকেও তাদের বাড়িতে লোকজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হলো। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে পড়েছে। রাফিয়া চাইছিলেন তার মাধ্যমে আর কেউ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হন। তিনি বলেন, \"ভাইরাসের বহনকারী হওয়ার চেয়ে আলাদা থাকাই ভালো।\" ফারিয়াকে স্বাভাবিক খাবার দাবারই দেওয়া হচ্ছিল। তাকে যে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল সেটি দিনে দুবার ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হতো। তিনি বলেন, ডাক্তার ও নার্সরা কোন ধরনের ভয়-ভীতি না দেখিয়েই তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। \"তারা যখন আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসতেন তারা নিজেদেরকে রক্ষার জন্যে নানা রকমের জিনিস পরতেন। তারা খুবই ভালো।\" চীনে এই ভাইরাসটি নিয়ে কী হচ্ছিল তার পাশাপাশি এর চিকিৎসাগত দিক নিয়েও তিনি অবহিত ছিলেন। উহান থেকে ফেরা চীনের উহান শ���রে গত তিন বছর ধরে মেডিসিন বিষয়ে পড়ছিলেন রাফিয়া। রাফিয়া বলছেন, ভারতের যে দুটো বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন সেখানে কিছুই ধরা পড়েনি। \"৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের ক্লাস ছিল। সেসময় আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা চলছিল। আমরা সবাই কয়েক সপ্তাহের ছুটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।\" কিন্তু মাসের মাঝামাঝি গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেল। একই সাথে ছড়িয়ে পড়ছিল গুজবও। \"২০শে জানুয়ারি আমরা দেখলাম যে এই রোগটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তখন আমরা উহান ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং আমি প্লেনের টিকেট বুক করি।\" ভারতীয়দের উদ্ধার করার জন্যে ভারত সরকার বিমান পাঠানোর আগেই রাফিয়া সেখান থেকে চলে আসেন। শহরটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ ঘোষণা করার আগেই তিনি ওই শহর ছেড়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তার পর সেখান থেকে আরেকটি বিমানে করে আসেন দক্ষিণের কোচিন শহরে। কোন উপসর্গ নেই \"কলকাতা বিমানবন্দরে আমি থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ভেতর দিয়ে যাই। কোচিন এয়ারপোর্টেও সেটা করা হয়। কিন্তু আমার দেহে ওই ভাইরাস সংক্রমণের কোন উপসর্গই ছিল না।\" হাসপাতালের ওয়ার্ডে রাফিয়াকে আর সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস কিভাবে ঠেকাতে পারে ব্যস্ত শহরগুলো করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে? পরের দিন তিনি বেইজিং-এ ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি বার্তা পান। সেখানে তার মতো আরো যারা চীন থেকে এসেছে তাদের আরো কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুরোধ জানানো হয়। তিনি তখন সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। ওই পরীক্ষাতেও উদ্বেগজনক কিছু ধরা পড়েনি। কিন্তু এর দুদিন পর, ২৭শে জানুয়ারি, গলা ব্যথা নিয়ে তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং বুঝতে পারেন শরীরে হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে। তখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষায় দেখা যায় যে তিনি ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আত্মবিশ্বাস রাফিয়াকে ছোট্ট একটি ঘরে আলাদা করে রাখা হয় প্রায় ২০ দিন। ওই ঘরের একটি জানালা দিয়ে তিনি বাইরের দুনিয়াকে দেখতে পেতেন। ভারতের একটি মসজিদে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। \"আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমার শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে মোকাবেলা করবে।\" রাফিয়া এবং তার পরিবারকে এখনও একটি বাড়িতে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। আরো কয়েক দিন পর এই অবস্থার শেষ হবে। \"এটা আমার জীবনের একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। আমি নিজেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। বরং আমি আমার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়েই চিন্তিত ছিলাম।\" এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। আর সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩,০০০। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেছে চীনে। \"পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি আবার উহানে ফিরে যাবো। সেখানে আমার ছয় বছরের কোর্স সম্পন্ন করবো,\" বলেন রাফিয়া। রাফিয়া বলেছেন, মেডিকেলের একজন ছাত্রী হিসেবে এই ঘটনা থেকে তিনি অনেক বড় শিক্ষা নিয়েছেন। \"আমি যখন ডাক্তার হবো আমি সবার আগে রোগীকে তার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করবো।\"", "doc2": "Le gouvernement indien affirme avoir pris des mesures préventives pour contenir l'épidémie Quelques jours seulement après avoir pris l'avion pour rentrer chez elle, on lui a diagnostiqué le virus et elle l'a découvert de manière impersonnelle et publique. Cette étudiante en médecine de 20 ans, originaire de l'État du Kerala, dans le sud de l'Inde, est la première personne à avoir été testée positive au coronavirus en Inde. Nous l'appellerons Rafia (ce n'est pas son vrai nom). Elle a raconté l'histoire de sa survie à la BBC. Elle a été admise à l'hôpital avec quatre autres personnes, qui ont toutes été autorisées à renter chez elles. \"Mais mes résultats étaient en attente\", dit-elle, \"personne ne me disait rien.\" A lire aussi Tedros Ghebreyesus, l’homme qui combat le coronavirus L'Afrique peut-elle faire face au Coronavirus? A quel point le coronavirus est-il mortel? Des préservatifs contre le coronavirus Révélation du journal télévisé Cette fenêtre fourni à Rafia son unique aperçu sur le monde extérieur Elle attendait patiemment dans une salle d'isolement quand un message est apparu sur son téléphone. \"Un de mes amis a coupé un extrait du journal télévisé et me l'a envoyé via [l'application de messagerie téléphonique] WhatsApp. Le reportage portait sur une étudiante en médecine de Wuhan qui avait été testé positif. Rafia pouvait facilement comprendre que le reportage était en fait sur elle. \"J'ai découvert que j'avais été infectée par le coronavirus aux informations télévisées\", dit-elle. Le 30 janvier, elle a été déclarée la première patiente atteinte d'un nouveau coronavirus en Inde. Rester positive Dans l'heure qui a suivi, les médecins sont venus lui dire qu'elle avait été testée positive. Elle devait rester plus longtemps pour se faire soigner. Elle dit ne pas avoir paniqué. \"Ça ne me dérangeait pas, à cette époque, beaucoup de gens se faisaient soigner avec succès.\" \"Je savais que le virus touchait principalement les personnes âgées et celles souffrant d'une maladie respiratoire sous-jacente. Je suis restée calme et positive\". Les autorités lui ont très vite demandé de donner les noms de tous ceux avec qui elle avait été en contact depuis son arrivée en Inde le matin du 25 janvier. L'isolation Les infrastructures de santé publique ont été mises à rude épreuve en raison de l'apparition de coronavirus dans de nombreux comtés Sa famille a dû faire face à des conséquences immédiates. Sa mère a été placée en isolement dans un service séparé du Thrissur Medical College Hospital, où Rafia était également soignée. Mais ils n'ont pas été autorisés à se voir. Son père et son frère ont été maintenus en isolement à la maison. \"Etre en isolement était bien mieux que de propager le virus\", déclare Rafia, montrant ainsi qu'elle tenait à éviter d'infecter qui que ce soit. On lui a donné une nourriture normale et la pièce a été nettoyée deux fois par jour. Elle dit que les médecins et les infirmières interagissaient avec elle sans montrer de signes de peur. \"Ils sont venus avec des équipements de protection individuelle pour faire des examens physiques. Ils étaient très bons\". Ayant vu l'épidémie mortelle se dérouler en Chine, elle connaissait bien les procédures médicales. Voyage depuis Wuhan Rafia affirme que les installations médicales de deux aéroports en Inde qu'elle a traversés n'ont rien détecté d'anormal Rafia étudiait la médecine à Wuhan depuis trois ans. \"Nous avions eu des cours jusqu'au 9 janvier et les examens semestriels avaient lieu. Nous attendions tous avec impatience les quatre semaines de vacances\". Vers le milieu du mois, les décès augmentaient et les rumeurs circulaient. \"Le 20 janvier, nous avons découvert que la maladie se propageait très vite, alors nous avons décidé de partir et j'ai réservé mon vol.\" C'était avant le début des vols d'évacuation officiels que le gouvernement indien a envoyés en Chine. Rafia a réussi à quitter la ville juste avant qu'elle ne soit complètement fermée. Elle est arrivée en Inde à l'aéroport de Kolkata, d'où elle a pris un autre avion pour Cochin, dans le sud de l'Inde. Aucun symptôme Rafia dit que les médecins et les infirmières du service d'isolement l'ont bien traitée \"J'ai subi un contrôle thermique à l'aéroport de Kolkata et à l'aéroport de Cochin. Je ne présentais aucun symptôme\", dit-elle. Le lendemain, elle a reçu un message de l'ambassade de l'Inde à Pékin, exhortant les personnes comme elle, venues de Chine, à se soumettre à des examens médicaux supplémentaires. Elle a fait un rapport aux responsables de la santé du district. Les contrôles n'ont rien révélé d'inquiétant. Mais deux jours plus tard, le 27 janvier, elle s'est réveillée avec un mal de gorge et a réalisé que quelque chose n'allait peut-être pas. Elle a été admise à l'hôpital et a été testée positive. Confiante dans mon système immunitaire Un groupe d'Indiens musulmans à Ahmedabad prie pour le rétablissement des patients atteints de coronavirus Pendant environ 20 jours, Rafia a été confinée dans une petite pièce et a vu le reste du monde à travers une fenêtre. \"J'étais sûr que mon système immunitaire combattrait le virus.\" Rafia et sa famille sont toujours en quarantaine à domicile, elle prendra fin dans les prochains jours. \"C'était une nouvelle expérience dans ma vie. Je n'étais pas inquiète pour moi. Je m'inquiétais pour ma famille et mes amis\". Plus de 50 pays ont signalé des cas de coronavirus jusqu'à présent, et le nombre de décès dans le monde a dépassé les 3 000, la plupart des décès se produisant en Chine. \"Lorsque la situation sera redevenue normale, je retournerai à Wuhan et je terminerai mes six années d'études\", explique Rafia. En tant qu'étudiante en médecine, elle dit qu'elle a appris une énorme leçon. \"Quand je deviendrai médecin\", dit-elle, \"je commencerai par informer le patient sur son état\". Les Indiens ont exprimé leur solidarité avec ceux qui ont contracté le coronavirus"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42251511", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-42259550", "doc1": "জেরুজালেম, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সঙ্কটের কেন্দ্রে যে শহর তা দিলে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্র হবে প্রথম রাষ্ট্র যারা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। স্বভাবতই ইসরায়েল সন্তুষ্ট, কিন্তু ফিলিস্তিনিরা ছাড়াও পুরো আরব বিশ্বের নেতারা সাবধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকেই নস্যাৎ করবে। এমনকী আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত \"পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য চরম এক উস্কানি।\" কিন্তু কেন জেরুজালেম মধ্যপ্রাচ্যে এত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু? প্রাচীন এই শহরটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি বিরোধের একদম কেন্দ্রে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা ইয়োল্যান্ডে নিল বলছেন, জেরুজালেমের অবস্থার যে কোন��� পরিবর্তনের প্রভাব নানাবিধ এবং তা যে কোনো সময় আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রথম কথা, ধর্মীয় দিক থেকে জেরুজালেম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি শহর। ইসলাম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে। এছাড়া, এর রাজনৈতিক গুরুত্ব হয়তো এখন ধর্মীয় গুরুত্বকেও ছাপিয়ে গেছে। ইসরায়েল বলে \"অভিন্ন জেরুজালেম তাদের চিরদিনের রাজধানী।\" আসলে ১৮৪৮ সালে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ইসরায়েল জেরুজালেমের পশ্চিমাংশে দেশের সংসদ ভবন স্থাপন করে। ১৯৬৭ সালে আরবদের সাথে যুদ্ধে জিতে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমও দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুজালেম শহরটিকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে ঘোষণা করে। ইসলাম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের পবিত্রতম স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে ফিলিস্তিনিরা কি বলে? ফিলিস্তিনিরা কোনোদিনই পূর্ব জেরুজালেমের দখল মেনে নেয়নি। তারা সবসময় বলে আসছে পূর্ব জেরুজালেম হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। ফিলিস্তিনি নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিয়ে দেওয়া। তাদের কথা, জেরুজালেম তাদের না থাকলে, কোনো টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন কখনই সম্ভব হবেনা। যদিও গত দশকগুলোতে পূর্ব জেরুজালেমের বহু জায়গায় ইহুদি বসতি বানিয়েছে, কিন্তু তারপরও এখানকার সিংহভাগ বাসিন্দা ফিলিস্তিনি যারা শত শত বছর ধরেই এই শহরে বসবাস করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও মেনে নিয়েছে, জেরুজালেম শহরের মর্যাদা, মালিকানা নির্ধারিত হবে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চূড়ান্ত শান্তি রফার অংশ হিসাবে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে তা লিখিত আকারে রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। সমস্ত বিদেশি দূতাবাস তেল আবিবে, যদিও জেরুজালেমে অনেকে দেশের কনস্যুলেট রয়েছে। এতদিনের সেই নীতি এখন ভাঙছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবিতে আগুন দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা ট্রাপ কেন এই ঝুঁকি তিনি নিচ্ছেন? হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, \"প্রেসিডেন্ট নেহাতই একটি বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন\"। তাদের কথা, ইসরায়েলকে বাড়তি সুবিধা দেওয় তার উদ্দেশ্য নয়। তারা ���লার চেষ্টা করছেন - জেরুজালেমের সীমানা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান এখনও আমেরিকা মেনে নিচ্ছেনা, সেটা ঠিক হবে চূড়ান্ত শান্তি মীমাংসায়। ফিলিস্তিনিরা কোনোভাবেই তাতে ভরসা পাচ্ছেনা। তাদের কথা, মি ট্রাম্প জেরুজালেমে ইসরায়েলের তৈরি ডজন ডজন অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোতে স্বীকৃতি দিয়ে দিচ্ছেন। ওয়াশিংটনে বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-উশেরও বলছেন, নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইহুদিদের সমর্থন পেতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন - জিতলে তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন এবং মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখছেন। সংবাদদাতা বলছেন, এই স্বীকৃতি দিয়ে মি ট্রাম্প যে পরে প্রতিদান হিসাবে শান্তি চুক্তি ত্বরান্বিত করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দেবেন, তার কোনো ইঙ্গিতই নেই।", "doc2": "Le président américain Trump confirme qu'il reconnaît \"officiellement Jérusalem comme capitale d'Israël\". Donald Trump romp ainsi avec des décennies de diplomatie américaine et internationale. le président américain a également ordonné à son ministère des Affaires étrangères de \"préparer le déménagement de l'ambassade américaine de Tel-Aviv vers Jérusalem\". Le président américain a revendiqué \"une nouvelle approche\" sur le conflit israélo-palestinien, ajoutant : \" Les Etats-Unis restent déterminés à aider à faciliter un accord de paix acceptable pour les deux parties\". Il assure tenir une promesse que ses prédécesseurs ont \"échoué\" à respecter. Donald Trump appelle au \"calme\" et à la \"tolérance\" avant d'annoncer que le vice-président Mike Pence, se rendra au Proche-Orient \"dans les jours à venir\". Le Premier ministre Israëlien Benjamin Netanyahu salue un \"jour historique\" après l'annonce de Trump sur Jérusalem. Le mouvement islamiste palestinien Hamas estime que Donald Trump ouvre \"les portes de l'enfer\" pour les intérêts américains."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55255502", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55258728", "doc1": "ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোর প্রচেষ্টার পর আসা খসড়া এই আইনটিতে হোম-স্কুলিংয়ের নিয়ম কানুন এবং হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য রুখতে কঠোরতা আরোপ করবে। ফ্রান্সে এবং এর বাইরে অনেক সমালোচক তার সরকারকে দুষছেন যে ধর্মকে টার্গেট করতেই এই আইন ব্যবহার করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসতেক্স এটিকে \"সুরক্ষা আইন\" বলে অভিহিত করেছেন যা মুসলিমদেরকে উগ্রতার হাত থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি \"ধর্মের বিরুদ্ধে বা বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মের বিরুদ্ধে\" ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি। আইনে কী আছে? \"প্রজাতন্ত্রের মূলনীতির সমর্থনে\" এই আইনটি অনলাইনে হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য ঠেকাতে বিধি-নিষেধ আরোপ করবে এবং খারাপ ���দ্দেশ্যে ব্যবহার জন্য অন্য মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে। গত অক্টোবরে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে শিরোচ্ছেদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আইনকে দেখা হচ্ছে। ইসলামের নবীর কার্টুন শিক্ষার্থীদের দেখানোর কারণে এক হামলাকারীর হাতে নিহত হয়েছিলেন ৪৭ বছর বয়সী প্যাটি। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে তার বিরুদ্ধে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন বা প্রচারণা চলছিল। এই আইনের অধীনে গোপনে চলা যেসব স্কুল ইসলামি আদর্শ প্রচার করে সেগুলোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং হোম-স্কুলিং বা বাড়িতে শিক্ষার বিষয়টি উপর কড়াকড়ি আরোপ হবে। আইনটি বহুবিবাহের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেবে। এর আওতায় একাধিক স্ত্রী রয়েছে এমন আবেদনকারীকে ফ্রান্সে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে না। যেসব চিকিৎসক মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করবেন তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানা হতে পারে। মুসলিম সংস্থাগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে নতুন নিয়ম আসবে এবং তহবিল পেতে হলে তাদেরকে ফ্রান্সের \"প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে\" সমর্থন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরিধানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটির আওতা বাড়ানো হবে। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে যানবাহন কর্মী, সুইমিং পুল এবং মার্কেটে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আইনটি কেন প্রয়োজন হল? খসড়া আইনটি এতোদিন বিবেচনাধীন ছিল। কিন্তু কথিত ইসলামপন্থীদের সাম্প্রতিক হামলা এটিকে আবারো এটিকে এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হওয়ার পেছনে কাজ করেছে। ফ্রান্সে যে তিনটি হামলা অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে প্যাটির হত্যাকাণ্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। অক্টোবরে নিসে একটি চার্চে ছুরি হামলায় তিন জন নিহত হয়। প্যারিসে শার্লি এবদো ম্যাগাজিনের দপ্তরের কাছে সেপ্টেম্বরে ছুরি হামলায় দুই জন গুরুতরভাবে আহত হয়। ২০১৫ সালে এই ম্যাগাজিনের কার্যালয়েই একটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল জঙ্গীরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেক্যুলারিজমসহ ফরাসি \"প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে\"র একজন কট্টর সমর্থক প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি ইসলামকে \"সংকটে থাকা\" ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং শার্লি এবদোর ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের অধিকারের প্রতি সমর্থন করেন তিনি। ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম জনগণের বসবাস, যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। প্রতিক্রিয়া ক�� এসেছে? বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মি. ম্যাক্রোঁ। তুরস্কের সাথে সম্পর্কে এরইমধ্যে চির ধরেছে এবং প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই প্রস্তাবনাকে \"খোলা উস্কানি\" এবং মি. ম্যাক্রোঁকে \"মানসিকভাবে অসুস্থ\" বলে মন্তব্য করার পর তা আরো খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং লেবাননে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কুটনীতিক স্যাম ব্রাউনব্যাকও এর সমালোচনা করে বলেছেন: \"যখন আপনি কঠোরহস্ত হবেন তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।\" খোদ ফ্রান্সেও কিছু বামপন্থী রাজনীতিবিদরা এই প্রস্তাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন যে এই প্রস্তাবনা মুসলিমদের জন্য অসম্মানজনক হতে পারে। লা ম্যঁদে সংবাদপত্র বলেছে, অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায় যারা হোম-স্কুলিং করে থাকে তারাও এই আইনের বিরোধিতা করতে পারে। কিন্তু প্যারিসে থাকা বিবিসির প্রতিবেদক লুসি উইলিয়ামসন বলেছেন, এ ধরণের পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর উপর চাপও ছিল। তিনি বলেন, ফ্রেঞ্চ সেক্যুলারিজমের নামে ইসলামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয় হলেও রাষ্ট্রের জন্য নাজুক অবস্থা তৈরি করতে পারে।", "doc2": "Ce projet de loi, qui s'inscrit dans le cadre d'un effort de longue haleine du président Emmanuel Macron pour défendre les valeurs laïques, renforce les règles relatives à l'enseignement à domicile et aux discours de haine. Certains critiques, tant en France qu'à l'étranger, ont accusé son gouvernement de l'utiliser pour cibler la religion. A ne pas surtout rater sur BBC Afrique : Mais le Premier ministre Jean Castex a parlé d'une \"loi de protection\" qui libérerait les musulmans de l'emprise des radicaux. Il a insisté sur le fait que le texte n'était pas \"dirigé contre les religions ou contre la religion musulmane en particulier\". Que prévoit la loi ? Le projet de loi \"soutenant les principes républicains\" renforcerait les restrictions sur les discours de haine en ligne et interdirait l'utilisation d'Internet pour révéler malicieusement des détails personnels sur d'autres personnes. Cette mesure est considérée comme une réponse à la décapitation du professeur Samuel Paty en octobre. Paty, 47 ans, a été tué près de son école par un seul agresseur après avoir montré aux élèves des caricatures du prophète Mahomet. L'enquête a révélé qu'une campagne en ligne avait été lancée contre lui. La loi interdit également les écoles \"clandestines\" qui promeuvent l'idéologie islamiste et renforce les règles relatives à l'enseignement à domicile. Lire aussi : Elle renforce également l'interdiction de la polygamie en refusant le droit de séjour aux candidats polygames. Les médecins pourraient se voir infliger une amende ou être interdits de pratiquer des tests de virginité sur les filles. De nouvelles règles de transparence financière s'appliquent aux associations musulmanes, qui doivent adhérer aux valeurs républicaines de la France en contrepartie de leur financement. L'interdiction pour les fonctionnaires de porter des vêtements religieux au travail est étendue aux travailleurs du transport et au personnel des piscines et des marchés. Parallèlement, indépendamment de la loi, le président Macron a convenu avec le Conseil français des musulmans (CFCM) de la création d'un conseil national des imams. Le président cherche à mettre un terme à l'activité de centaines d'imams étrangers exerçant en France. Pourquoi cette loi est-elle introduite ? Le projet de loi est à l'étude depuis un certain temps, mais les récentes attaques islamistes l'ont fait passer en tête de l'ordre du jour. Le meurtre de Paty est l'un des trois attentats qui ont scandalisé la France. Trois personnes ont été tuées lors d'un attentat à l'arme blanche dans une église de Nice en octobre. Deux personnes ont été poignardées et gravement blessées en septembre à Paris, près des anciens bureaux du magazine Charlie Hebdo, où des militants islamistes ont perpétré un attentat meurtrier en 2015. French President Emmanuel Macron says France 'will never give in' to extremism Le président Macron est un ardent défenseur des valeurs républicaines françaises, dont la laïcité de l'État. Il a décrit l'Islam comme une religion \"en crise\" et a défendu le droit de Charlie Hebdo à publier des caricatures du prophète Mahomet. La France compte environ cinq millions de musulmans, la plus grande minorité musulmane d'Europe. Quelle a été la réaction ? M. Macron est devenu la cible de vives critiques dans plusieurs pays à majorité musulmane. Les relations avec la Turquie, déjà tendues, ont encore été minées par le fait que le président Recep Tayyip Erdogan a qualifié la législation de \"provocation ouverte\" et a déclaré que M. Macron était \"mentalement malade\". Des manifestations ont eu lieu au Pakistan, au Bangladesh et au Liban. L'envoyé américain pour la liberté de religion, Sam Brownback, a également critiqué la loi, déclarant \"Quand on est lourd, la situation peut s'aggraver.\" Lire aussi : En France même, certains hommes politiques de gauche ont exprimé leur inquiétude quant au fait que la législation pourrait être considérée comme stigmatisant les musulmans. Le journal Le Monde affirme qu'elle pourrait également contrarier d'autres groupes religieux qui pratiquent l'enseignement à domicile. Mais Lucy Williamson, de la BBC à Paris, affirme que la pression s'est accrue sur le président Macron pour qu'il agisse. S'attaquer à l'influence islamiste au nom de la laïcité française est peut-être populaire chez nous, mais c'est encore une opération délicate pour l'État, ajoute-t-elle."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47436420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47435707", "doc1": "শেখ আহমেদ আল তায়েব ২০১০ সাল থেকে মিশরের আল আজহার এর প্রধান ইমাম হিসেবে রয়েছেন। এই প্রধান ইমাম বা গ্র্যান্ড ইমাম হচ্ছেন শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব। তাঁকে সেখানে সুন্নী ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেছেন, কোরান সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়শই এই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়। তিনি তাঁর সাপ্তাহিক টেলিভিশন আনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দেন। পরে তিনি টুইটারেও একই বক্তব্য তুলে ধরেন। তাঁর এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মিশরে সেই বিতর্কের মুখে আল আজহার নামের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেয়। সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। একইসাথে বিতর্কের মুখে শেখ আহমেদ আল-তায়েবও তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। আরও পড়ুন: কাদের চোখ খুলেছেন, তবে পুরোপুরি শঙ্কা মুক্ত নন ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? 'মুসলিম বিরোধী পোস্টার':ক্ষুব্ধ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য তিনি তাঁর নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন যে, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহু বিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম। তিনি আরও বলেছেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটাকেই নিয়ম ��নে করেন, তারা সকলেই ভুল। বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মিশরের এই ইমাম কোরান থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, \"একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে।যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তাহলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।\" তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিশরের এই ইমাম। টুইটারে তিনি বলেছেন, \"সমাজের অর্ধেক নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সন্মান না করি, তাহলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া।\" মিশরে নারীদের জন্য যে জাতয়ি কাউন্সিল রয়েছে, তারা এই ইমামের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।", "doc2": "Cheikh Ahmed al-Tayeb dirige l'Université al-Azhar depuis 2010. Selon cette haute autorité de l'islam sunnite, la polygamie est souvent pratiquée avec \"un manque de compréhension du Coran\". Il a fait ce commentaire dans une émission de télévision hebdomadaire et sur Twitter. L'Université al-Azhar précise, à la suite d'un tollé provoqué par son chef, que ce dernier n'appelait pas à une interdiction de la polygamie. Lire aussi : Kano: polygamie interdite aux \"pauvres\"? C'est quoi un \"islam de France\" ? Islam: le hajj en images La monogamie est la règle, et la polygamie l'exception, précise Cheikh Ahmed al-Tayeb. \"Ceux qui disent que le mariage doit être polygame ont tous tort, dit-il. Le Coran stipule que pour qu'un musulman ait plusieurs épouses, il doit obéir aux conditions d'équité\", ajoute le chef religieux. \"Les femmes représentent la moitié de la société. Si nous ne nous soucions pas d'elles, c'est comme si nous marchions sur un seul pied\", a-t-il écrit sur Twitter. Le Conseil national égyptien pour les femmes a répondu positivement à ses commentaires. \"La religion musulmane honore les femmes - elle a apporté la justice et de nombreux droits qui n'existaient pas auparavant\", a déclaré Maya Morsi, sa présidente."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43920620", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43899020", "doc1": "অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেলে ক্যান্সার হয় ইংল্যান্ডে চালানো এই গবেষণার ফল ইতোমধ্যেই 'ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্যান্সারে' প্রকাশিত হয়েছে। তবে, এই গবেষণায় অংশ নেয়া ইংল্যান্ডের মোট ১৩৩০ জন খুব সঠিকভাবেই ধূমপানকে ক্যান্সারের কারণ বলে সনাক্ত করেছেন। ধূমপান, স্থূলতা ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে যেসব ক্যান্সার হয় সেগুলো সবচে' বেশি প্রতিরোধযোগ্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, প্রতি দশটি ক্যান্সারের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্তত চারটি ঘটনা লাইফস্টাইল বা জীবন যাপনের পদ্ধতি দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এজন্য ক্যান্সারের কারণ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাটা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনভিার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউন���ভার্সিটি অফ লিডস এর গবেষকরা, এই গবেষণার জন্য একটি জরিপ চালিয়েছিলেন। গবেষকরা বলছেন, জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে অন্তত ৪০ ভাগ মানুষ ভুলভাবে 'স্ট্রেস' বা মানসিক চাপি এবং খাদ্যাভ্যাসকে ক্যান্সারের কারণ বলে মনে করে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ বিশ্বাস করে যে, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি (৩৫%) এবং জেনেটিকেলি মডিফায়েড (জিএম) খাবার (৩৪%) খেলে ক্যান্সার হবার আশঙ্কা রয়েছে। মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করলেও ক্যান্সার হয় বলে অনেকের ভুল ধারণা তাছাড়া, যথেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ না থাকার পরেও, অন্তত ১৯ শতাংশ মনে করে যে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করে খেলে এবং প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি খেলে ক্যান্সার হতে পারে। জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন এর মধ্যে অবশ্য সবচে বেশি সংখ্যক মানুষ শতকরা ৮৮% ধূমপান এবং ৮০ ভাগ মানুষ পরোক্ষ ধূমপান আর ৬০ ভাগ মানুষ 'সানবার্ন' বা রোদে পোড়াকে ক্যান্সারের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। গবেষকরা বলছেন, ব্যাপারটা এমন নয় যে ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে যাদের মনে ভুল ধারণা ছিল তারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে জীবন-যাপন করছিলেন। বরং গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে যারা অনেক সঠিক তথ্য জানে তারা বেশি সচেতন এবং তারা ধূমপান থেকে দূরে থাকে। অন্যান্য খবর: উত্তর কোরিয়া কেন পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে? \"সব পুলিশ এমন হলে বদলে যেত বাংলাদেশ\" লাইকা ক্যামেরা, একজোড়া জুতো এবং একজন আব্বাস তাছাড়া সচেতন ব্যক্তিরা বেশি করে সবজি আর ফল-ফলাদিও খায় বলেও উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা। ইউনিভার্সিটি অফ লিডস এর ড. স্যামুয়েল স্মিথ বলেন, \"এটি খুবই দুশ্চিন্তার বিষয় যে, বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণাদি না থাকার পরেও বহু মানুষ বিভিন্ন বিষয়কে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মনে করে।\" মি. স্মিথ আরো বলেন যে, এই শতকের শুরুর দিকে অসত্য ও অপ্রমানিত বিষয়গুলোকে যে পরিমান মানুষ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মনে করতো, এখন তার থেকেও বেশি মানুষ সেটি মনে করছে। আর এর পেছনে ইন্টারনেটে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য জানাটা একটা বড় কারণ বলেই মনে করছেন ড. স্মিথ। তাই, ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে মানুষকে সঠিক তথ্য দিয়ে জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করতে জনশিক্ষা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। আর যুক্তরাজ্যের ক্যানসার রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের ক্লে���়া হাইড বলেছেন, ক্যান্সের বিরুদ্ধে গ্যারান্টি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ক্যান্সারের সবচে' বড় কারণগুলো সর্ম্পকে ভুল-ভাল তথ্যের পেছনে সময়-খরচা না করে সঠিক তথ্য জানলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।", "doc2": "Dans un sondage publié dans le European Journal of Cancer et réalisé en Angleterre auprès de 1 330 personnes, la plupart des personnes interrogées ont répondu que fumer est un danger. Mais de plus en plus de personnes ont du mal à déterminer les facteurs de risque. Le tabagisme, le surpoids et la surexposition aux rayons UV restent les principales causes de cancer. L'association caritative de lutte contre le cancer britannique Cancer Research UK a déclaré que quatre cas de cancer sur dix pourraient être évités grâce à des changements de style de vie. Cancer Research UK affirme qu'il est également important d'être bien informé pour \"trier ce qui est bénéfique et ce qui est nuisible\". Les chercheurs de l'University College London et de l'Université de Leeds qui ont réalisé l'enquête ont découvert que plus de 40 % des personnes interrogées pensent à tort que le stress et les additifs alimentaires provoquent le cancer."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51656271", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53148780", "doc1": "ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র শহর মক্কায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভ্রমণ করেন এছাড়া পর্যটন ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ না করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি পবিত্র নগরী মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মস্থান ইসলামের অন্যতম পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত মক্কায়, আর তাঁর কবর মদিনা শহরে। তাই মদিনায়ও প্রচুর মুসলমান ভ্রমণ করেন ধর্মীয় কারণে। বিদেশী পর্যটক বাড়াতে চায় সৌদি আরব তবে জুলাই মাসে আসন্ন হজে যেতে আগ্রহীদের উপর এই স্থগিতাদেশ কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। সৌদি আরবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মুসলমান উমরাহ ও হজ পালন করেন। গত বছর প্রায় ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ পালন করেছিলেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাময়িকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে কতদিন এসব নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ থাকবে, সেটি বলা হয়নি। আরো পড়ুনঃ করোনাভাইরাস: ভাইরাস ছড়ানো বন্যপ্রাণীর সন্ধান চলছে মঙ্গোলীয় চেহারার শিক্ষার্থীদের 'করোনভাইরাস' বলে হেনস্থা কোয়ারেন্টিন করা জাহাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই সৌদি আরবের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে সৌদি আরব বিদেশী পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, গত অক্টোবর থেকে চার লক্ষের মতো টুরিস্ট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। সৌদি আরবে এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তবে প্রতিবেশী দেশ কুয়েত, বাহরাইন, ইরাক ও আরব আমিরাতে করনোভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর সে কারণেই সৌদি আরব বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলে বলা হচ্ছে। তবে বিদেশে অবস্থান করা সৌদি নাগরিকেরা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যান্য খবরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা যেভাবে হবে? পরীক্ষায় নকল করার উপায় বলে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক আয়ের কতটা সঞ্চয় করা উচিত? কীভাবে?", "doc2": "La distance sociale est respectée à la Mecque lors des heures de prières Seul un nombre très limité de personnes vivant actuellement dans le royaume peuvent y participer, selon une annonce dans les médias d'État. On estime à deux millions le nombre de personnes qui s'étaient rendues à La Mecque et à Médine cet été pour ce rassemblement annuel du rituel islamique. On craignait que le Hadj ne soit complètement annulé. En temps normal, le pèlerinage est l'un des moments les plus importants du calendrier religieux musulman. Mais seuls les citoyens de pays du monde entier qui résident déjà en Arabie Saoudite seront autorisés à y participer cette année. Les autorités affirment que c'est la seule façon pour elles d'établir des plans de distanciation sociale qui assureront la sécurité des gens. L'Arabie Saoudite a enregistré 161 005 cas d'infection et 1 307 décès. Elle n'a levé son confinement de niveau national que ce week-end. Lire aussi Qu'est-ce que le Hajj ? 7 choses à savoir sur le Hajj Faire le pèlerinage au moins une fois dans sa vie est l'un des cinq piliers de l'Islam - les cinq obligations que tout musulman, qui est en bonne santé et peut se le permettre, doit satisfaire pour mener une vie bonne et responsable, selon l'Islam. Les pèlerins se rassemblent à La Mecque pour se tenir devant la structure connue sous le nom de Kaaba, louant ensemble Allah (Dieu). Ils accomplissent également d'autres actes de culte."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2015/08/150805_mh_libya_migrant", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-44697852", "doc1": "উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়কারী ইটালীর কোস্ট গার্ড বলছে, এ পর্যন্ত তারা সাগর থেকে চারশো মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছে। লিবিয়ার উপকুল থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে এসে এই মাছ ধরা নৌকাটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। নৌকাটি থেকে পাঠানো বিপদ সংকেত পেয়ে চারটি জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়। তিনটি হেলিকপ্টারও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে অভিবাসীরা সবাই নৌকার একদিকে জড়ো হওয়ার পর এটি উল্টে যায়। এ বছর ভূমধ্যসাগরে এরকম অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে এপর্যন্ত অন্তত দুহাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।", "doc2": "Plus de 1000 personnes sont mortes en Méditerranée en 2018. Selon les autorités locales, 63 migrants ont disparu après l'incident de dimanche à l'est de Tripoli, tandis que 41 personnes ont été sauvées. Depuis vendredi, près de 170 migrants ont disparu en mer Méditerranée. D'après un communiqué de l'Organisation internationale des migrations (OIM) en Libye, ''les passeurs exploitent le désespoir des migrants avant que l'Europe ne réprime les traversées méditerranéennes\". \"Le nombre de morts en mer au large des côtes libyennes augmente de façon alarmante\" a déclaré Othman Belbeisi, chef de la mission de l'OIM en Libye. Plus de 1000 personnes sont mortes en Méditerranée en 2018. Le bateau a chaviré au large de Garabouilli, à environ 50 km à l'est de la capitale, Tripoli."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56466601", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43416899", "doc1": "সুখী দেশের তালিকায় ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশে জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেনমার্ক রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এরপরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ আছে তালিকার ১০১ নম্বরে। এর আগের জরিপে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৭তম। সে হিসেবে বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়েছে। তবে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে কতোটা সুখী সেটার গড় মূল্যায়ণে বাংলাদেশ তার প্রাপ্ত স্কোর অনুযায়ী তালিকার ৬৮ নম্বরে স্থান পেয়েছে। যা ২০১৭-২০১৯ সালের স্কোরের চাইতে ৯ ধাপ এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে আগের অবস্থান থেকে চার ধাপ পিছিয়েছে যুক্তরাজ্য। আগে তার অবস্থায় ১৩তে, থাকলেও ২০২০ সালের এই প্রতিবেদনে তা ১৭-তে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া তালিকার ১৯তম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। হ্যাপিনেস র‍্যাংকিং-এ শীর্ষ ১০ এর তালিকায় থাকা একমাত্র নিউজিল্যান্ডই একমাত্র অ-ইউরোপীয় দেশ। অ্যানালেটিক রিসার্চ গ্যালাপ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এবারে নবমবারের মতো হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশিত হল। মূলত ১৪৯টি দেশের মানুষজনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তাদের সুখ পরিমাপ করা হয়েছে। সুখের পরিমাপক হিসেবে, দেশটির সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির মাত্রা বিষয়গুলোকে সামনে রাখা হয়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষের সার্বিক পরিস্থিতিকে। এসব মানদণ্ডে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই রয়েছে লেসোথো, বোতসোয়ানা, রুয়ান্ডা এবং জিম্বাবুয়ে। মহামারির কারণে বিশ্বে মানুষে সুখের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪৯টি দেশের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে \"নেতিবাচক আবেগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।\" তবে, ২২টি দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভাল হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ রাগ এবং ঘৃণার প্রকাশ মানুষকে সুখী করে! পর পর চার বছর, সবচেয়ে সুখী দেশের শীর্ষ ফিনল্যান্ড। আগের বছরের র‌্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থান বেশ ভালো। এরমধ্যে বাংলাদেশ যেমন আছে, তেমনি চীন ৯৪ তম থেকে ৮৪ তম স্থানে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ১০ ধাপ এগিয়েছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের পরেই ভারতের অবস্থান। ১৪৯টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৩৯তম অবস্থানে। ১২৯ তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, সামরিক অভ্যুত্থান ও গণ আন্দোলনের জোয়ারে ভাসা মিয়ানমার আছে তালিকার ১২৬-এ এবং ১০৫ তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। \"আশ্চর্যের বিষয় হল এই জরিপে অংশ নেয়া প্রত্যেকেই যখন তাদের নিজের জীবন দিয়ে সুখ মূল্যায়ন করলেও, তাদের গড় ভালো থাকা বা সুস্থ থাকার ব্যাপারটি কমেনি। জন হেলিওয়েল, এ কথা বলেছেন। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে সাধারণ মানুষ হয়তো কোভিড -১৯ কে একটি সাধারণ রোগ হিসেবে মেনে নিয়েছে। এই সময়ে বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রত্যেকে প্রভাবিত করেছে এবং এটি মানুষের সাথে মানুষের সংহতি এবং সহানুভূতির বাড়িয়ে তুলেছে। ফিনল্যান্ড \"মহামারিকালীন জীবন ও জীবিকা রক্ষা সেইসঙ্গে পারস্পরিক আস্থার মানদণ্ডে সবচেয়ে উচ্চ অবস্থান অর্জন করেছে\", প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার নর্ডিক দেশটি মহামারিকালীন ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর চাইতে অনেক বেশি ভালভাবে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮০৫ জন। প্রতিবেদন অনুসারে, দশটি সুখী দেশ হল: ১. ফিনল্যান্ড ২. ডেনমার্ক ৩. সুইজারল্যান্ড ৪. আইসল্যান্ড ৫. নেদারল্যান্ডস ৬. নরওয়ে ৭. সুইডেন ৮. লুক্সেমবার্গ ৯. নিউজিল্যান্ড ১০. অস্ট্রিয়া", "doc2": "Selon un rapport annuel de l'ONU, la Finlande est le pays le plus heureux de la planète. Les pays nordiques figurent régulièrement parmi les cinq premiers du classement, tandis que les pays touchés par la guerre et un certain nombre de pays d'Afrique subsaharienne apparaissent régulièrement dans les cinq derniers. Selon le rapport de l'ONU, le Burundi est le pays le moins heureux, succédant à la République centrafricaine. Le Burundi est confronté à une grave crise depuis la décision du président Pierre Nkurunziza de briguer un troisième mandat en 2015."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45948842", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-45942286", "doc1": "গবেষকরা বলছেন, হরমোন থেরাপির সাথে নতুন ধরনের ঔষধের সংমিশ্রণে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে আরো বেশিদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। হরমোন থেরাপির সাথে প্যালবোসাইক্লিব ব্যবহার করা হয়েছে এমন আক্রান্ত নারীরা অন্তত ১০ ��াস বেশি বেঁচেছে যারা কেবলমাত্র হরমোন থেরাপি পেয়েছে তাদের তুলনায়। স্তন ক্যান্সারঃ চিকিৎসার ১৫ বছর পরেও ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশেও কেন মেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু তারা এও দেখেছেন যে, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগটি পুরোপুরি ভালো হয়না এবং সবার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরও নয়। প্লাসিবো নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল গবেষণায় প্যালবোসাইক্লিব প্রয়োগের সুবিধা দেখার চেষ্টা করা হয় ৫২১ জন নারীর ওপর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির চলছিল। তারা অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল অর্থাৎ তাদের টিউমারে এইচইআর-২ জিন ছিলনা। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক এই অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সার হল ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ অবস্থা, ক্যান্সার আক্রান্ত শতকরা অন্তত ৭০ ভাগের ক্ষেত্রেই রোগটির এই অবস্থাটি দেখা যায়। লন্ডন ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে ও রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট মিলে করা এই গবেষণায় দেখতে চাওয়া হয়েছিল, প্যালবোসাইক্লিব আক্রান্ত নারীর সামগ্রিক বেঁচে থাকায় এবং কেমোথেরাপি বিলম্বিত করায় প্রভাব ফেলে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, যেসব নারীদের টিউমার আগের হরমোন থেরাপিতে ভালো সাড়া দিয়েছিল (যার সংখ্যা ৫২১ জনের মধ্যে ৪১০জন),তাদের বেঁচে থাকার সময় ১০ মাস বেড়ে গড়ে ৩৯.৭ মাসে দাড়ায়। আর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির সাথে প্লাসিবো হিসেবে একটি করে নির্গুণ ওষুধ দেয়া হয়েছিল তাদের বেঁচে থাকা ২৯.৭ মাস। অবশ্য যাদের ক্ষেত্রে আগে হরমোন থেরাপি কার্যকর হয়নি তারা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেনি। তিন বছর পর তাদের গবেষণার জন্যে আবারো যখন বিবেচনা করা হয় তখন দেখা যায় যে প্যালবোসাইক্লিব এবং হরমোন থেরাপি উভয়ই যারা ব্যবহার করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সংখ্যাও বেশি। সেটি ৪৯.৬% যা ৪০.৮% থেকে বেশি- অর্থাৎ যাদের শুধুমাত্র ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন দেয়া হয়। এই যৌথ পদ্ধতি প্রয়োগ করা নারীদের একটি অংশের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি দেবার সময় ৯ মাস পর্যন্ত বিলম্বিত হয়। আরো পড়ুন: সাগরের ওপর ৫৫ কি.মি. দীর্ঘ সেতু বানিয়ে ফেললো চীন মানহানির মামলায় মইনুল হোসেন গ্রেপ্���ার মাসুদা-মইনুল বিতর্কে ঢুকে পড়লেন তসলিমা নাসরিন সবচেয়ে মূল্যবান সময় এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে প্রফেসর নিকোলাস র্টানার, তার মতে, \"প্যালবোসাইক্লিবের ব্যবহার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের জন্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।।\" \"এটি আক্রান্ত নারীদের তাদের প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর অবকাশ বাড়িয়ে দিতে পারে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী চিকিৎসা হওয়ায় অনেকের কেমোথেরাপিই এটি বিলম্বিত করেছে। অনেকেই ফিরে গেছেন স্বাভাবিক জীবনে,\" বলছিলেন মি. টার্নার। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রফেসর চার্লস শ্যানটন এর ফলাফল কে 'অত্যন্ত উৎসাহ ব্যঞ্জক' বলে অভিহিত করেছেন। প্যালবোসাইক্লিব এনআইসিই-র অনুমোদন পেয়েছে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। তবে সাম্প্রতিককাল এটি অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সারের নিরাময়ের লক্ষ্যেই ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের রোগটি নির্ণয়ের পরও ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রফেসর চার্লস শ্যানটন এর ফলাফল কে 'অত্যন্ত উৎসাহ ব্যঞ্জক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, \"যদিও এক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের কিছু অতিরিক্ত মূল্যবান মাস বেশী লাগছে এবং একইসাথে এটি পুরোপুরি নিরাময় করেনা ও সবার ক্ষেত্রে কাজও করে না।\" \"সুতরাং স্তন ক্যান্সারের দুর্বল অংশের বিষয়ে আমাদের আরো বেশি করে জানতে হবে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের জন্যে চিকিৎসা পদ্ধতি আরো বিকশিত করতে হবে।\" ব্রেস্ট ক্যান্সার নাউ এর প্রধান নির্বাহী ডেলিথ মর্গানের মতে এই গবেষণা \"রোমাঞ্চকর\" হলেও আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার দাবি রাখে। প্রথম নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয় এবং তা পরিবেশন করা হয় জার্মানির মিউনিখে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব মেডিসিন অনকোলজি কংগ্রেসে। এ নিয়ে লেডি মর্গানের মত হলো যে, সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতির সংস্কারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই প্যালবোসাইক্লিব ও ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির সমন্বিত প্রয়োগ।", "doc2": "Un traitement allonge la survie des malades du cancer Les femmes qui ont reçu du palbociclib et une hormonothérapie ont vécu jusqu'à 10 mois de plus que celles qui ont reçu un traitement hormonal seul. Voici les conclusions d'un essai clinique dirigé par des chercheurs de l'Institute of Cancer Research, à Londres, et du Royal Marsden NHS Foundation Trust. Ce traitement a également retardé le moment où les femmes devaient commencer la chimiothérapie, ce qui a souvent des effets secondaires douleureux. Les experts indiquent que les résultats préliminaires de l'essai sont très encourageants mais ils soulignent que ce n'est pas un remède contre le cancer du sein et qu'il ne fonctionnera pas pour tout le monde. Les cancers du sein oestrogéniques positifs sont les plus répandus L'essai clinique a été réalisé sur 521 femmes atteintes d'un cancer du sein à un stade avancé (œstrogène-récepteur positif) dont les tumeurs n'avaient pas le gène HER2. Les cancers du sein à récepteurs œstrogéniques positifs sont la forme la plus courante de cancer du sein, représentant environ 70 % des cas. L'étude a révélé que chez les femmes dont les tumeurs avaient auparavant bien répondu à l'hormonothérapie (410 des 521 femmes), le traitement a prolongé la survie de 10 mois à une moyenne de 39,7 mois, comparativement à 29,7 mois chez les femmes ayant reçu un fulvestrant et un placebo (pilule factice). Trois ans après leur participation à l'étude, 49,6 % des femmes ayant reçu à la fois du palbociclib et du fulvestrant étaient encore en vie, comparativement à 40,8 % des femmes ayant reçu le fulvestrant seul. Un précieux temps de survie Le traitement est promoteur mais les recherches se poursuivent Le professeur Nicholas Turner, qui a dirigé l'étude soutient que \"le développement du palbociclib est l'une des plus grandes avancées dans le traitement des femmes atteintes d'un cancer du sein avancé au cours des deux dernières décennies\". \"Ce médicament peut offrir aux femmes une possibilité de vivre plus longtemps, un temps précieux avec leurs proches, et parce qu'il s'agit d'un traitement ciblé, il est beaucoup plus doux que la chimiothérapie, et permet à de nombreuses femmes de continuer leur vie normalement\". 12 symptômes du cancer du sein Palbociclib a été approuvé en Angleterre par la NICE (Institut national pour l'excellence des soins et de la santé) en novembre 2017, mais n'est actuellement disponible que pour les femmes atteintes d'un cancer du sein à récepteurs œstrogéniques positifs qui ont été diagnostiquées après que la maladie a commencé à se propager. Les auteurs de l'étude souhaitent qu'elle soit également mise à la disposition des femmes dont le cancer du sein a déjà été traité par hormonothérapie. Le professeur Charles Swanton, clinicien en chef de Cancer Research UK, a déclaré que les résultats étaient \"très encourageants\". Delyth Morgan, directrice générale de Breast Cancer Now, a déclaré que les résultats étaient \"passionnants\", mais qu'il fallait poursuivre la recherche. L'étude a été publiée dans le New England Journal of Medicine et a été présentée au congrès de l'European Society of Medical Oncology à Munich, en Allemagne. Cancer du sein - Sénégal : le dépistage reste la solution"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52019325", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52022823", "doc1": "উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী। এই উহান শহর থেকেই চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সূচনা - যা এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, উহান শহরটি যে প্রদেশের অন্তর্গত - সেই হুবেইয়ের সুস্থ বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোন করোনাভাইরাস রোগী না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার এক ব্যক্তির দেহে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশই এখন পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই উহানকে সারা বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের ফোনের অ্যাপে বিশেষভাবে ইস্যু করা সবুজ কোড রয়েছে, তারা আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে উহান ত্যাগ করতে পারবেন। উহানের এক গাড়ি নির্মাণ কারাখানায় দুপুরের খাবার খাচ্ছেন শ্রমিকরা। সরকারি হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রায় ৮০ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ৭৬ জনই সংক্রমিত হয়েছেন ‘বিদেশ থেকে আসা’ ব্যক্তিদের মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের এই ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও লক্ষ্য করা গেছে। যদিও দুটি দেশই গত কয়েক সপ্তাহে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে বেশ সফল হয়েছে। সাংহাই থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রবিন ব্র্যান্ট জানাচ্ছেন, চীন নিজেকে একটি ‘করোনা-উত্তর’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। উহানের রেলওয়ে স্টেশনে অল্প কয়েকজন যাত্রী। গত সপ্তাহের উহানের মেডিকেল কর্মীরা ব্রিটেনকে সতর্ক করেছে এই বলে যে তারা যেন তাদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্ষার্থে যেন সংক্রমণ-প্রতিরোধী পোশাক-পরিচ্ছদ সরবরাহ করা হয়। করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ' নিয়ে চীনের ভেতরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে চীনের কিছু শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক সোশাল মিডিয়ায় এই তত্ত্ব প্রচার করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তারা উহানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। ইতালিতে উহানের আগে থেকেই কোভিড-১৯ উপস্থিত ছিল বলেও তারা বলার চেষ্টা করছেন। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এসব বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে চীন তার নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রতিষ্ঠিত সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে?", "doc2": "Wuhan est bouclé depuis la mi-janvier Les restrictions de voyage dans le reste de la province du Hubei, où se trouve Wuhan, seront levées à partir de minuit ce mardi - pour les résidents en bonne santé. Un seul nouveau cas de virus a été signalé mardi à Wuhan après presque une semaine sans nouveau cas. Des pays du monde entier sont entrés en confinement ou ont imposé des restrictions sévères. Le Royaume-Uni s'apprête à adopter de nouvelles mesures radicales pour lutter contre la propagation du coronavirus, notamment l'interdiction des rassemblements publics de plus de deux personnes et la fermeture immédiate des magasins vendant des produits non essentiels. Pendant ce temps, les experts de la santé disent que les Américains doivent limiter leurs interactions sociales ou le nombre d'infections submergera le système de santé. Des soldats espagnols aidant à lutter contre la pandémie de coronavirus ont trouvé des patients âgés dans des maisons de retraite abandonnés et, dans certains cas, morts dans leurs lits, a indiqué le ministère de la Défense. Une patinoire à Madrid sera utilisée comme morgue temporaire pour les victimes du Covid-19. Coronavirus et ibuprofène: séparer la réalité de la fiction L'Afrique face au défi du coronavirus Des volontaires américains testent un vaccin contre le coronavirus Coronavirus: comment se protéger L'Organisation mondiale de la santé (OMS) a averti que la pandémie s'accélère, avec plus de 300 000 cas confirmés. Il exhorte les pays à adopter des stratégies de test et de recherche des contacts rigoureuses. Wuhan est fermée au reste du monde depuis la mi-janvier. Mais les autorités disent maintenant que toute personne disposant d'un code \"vert\" sur une application de santé pour smartphone largement utilisée sera autorisée à quitter la ville à partir du 8 avril. Plus tôt, les autorités ont signalé un nouveau cas de coronavirus à Wuhan, mettant fin à une série de cinq jours sans nouveau cas dans la ville. Les chiffres officiels du gouvernement indiquent qu'il y a eu 78 nouveaux cas signalés en Chine au cours des dernières 24 heures. Dans la plupart des cas ce sont des voyageurs infectés arrivant de l'étranger. Cette \"deuxième vague\" présumée d'infections importées affecte également des pays comme la Corée du Sud et Singapour, qui ont réussi à arrêter la propagation de la maladie ces dernières semaines. La Corée du Sud a constaté une baisse de son décompte quotidien de nouveaux cas. Mardi, le pays a annoncé son plus faible chiffre depuis le 29 février."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51457526", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51457600", "doc1": "চীন কর্তৃপক্ষ যেভাবে সামাল দিচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের পার্টি সেক্রেটারি এবং কমিশনের প্রধান চাকরি হারানোদের মধ্যে রয়েছে। যাদের এ পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। স্থানীয় রেড ক্রসের উপপরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে 'অনুদান পরিচালনার' ক্ষেত্রে 'দায়িত্ব পালনে অবহেলা'র কারণে। অপসারিত এই দুই পার্টি অফিসিয়ালের জায়গায় ওয়াং হেসেংকে বসানো হবে। তিনি চায়না ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের উপ পরিচালক। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশেই ১০৩ জন মারা গেছে। যেটা একদিনে এত মানুষ মারা যাওয়ার একটা রেকর্ড। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা এখন ১০১৬জন। তবে রবিবারের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। সংখ্যায় সেটা আগে ছিল ৩০৬২ জন এখন ২৪৭৮ জন। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, সোমবার ২০৯৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে যেটা আগের দিনের তুলনায় কম। সংকট মোকাবেলা না করতে পারায় অপসারণ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, হুবেই এবং অন্যান্য প্রদেশে শত শত মানুষকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, তদন্ত করা হচ্ছে, সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট পদ থেকে সরিয়ে নেয়া মানে এই নয় যে তাকে বরখাস্ত করা হবে। এটার আরেকটা অর্থ দাড়ায় তার 'পদাবনতি'। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিংপিং স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখতে যান সোমবার পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে শাস্তি পেতে পারেন। যেমন রেড ক্রসের উপপরিচালক ঝাং কুইন-কে পার্টির পক্ষ থেকে সতর্ক করা এবং প্রশাসনিক মারাত্মক ত্রুটি হিসেবে ধরা হবে। এই মাসের শুরুতে উহান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস এর উপপরিচালককে \"পার্টির পক্ষ থেকে গুরুতরভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং তার ব্যর্থতাকে মারাত্মক প্রশাসনিক ত্রুটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ ফেস মাস্ক সরবরাহ সংক্রান্ত নীতিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে\"। হুয়াংগ্যাং-এর স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হুবেই প্রদেশে উহানের পরে এটিই সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়া শহর। সম্প্রতি এই সংকট মোকাবেলা করতে না পারার কারণে চীনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে একজন চিকিৎসকের মৃত্যুর পর ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয় যার সতর্কবার্তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবি, বহু হতাহতের আশঙ্কা নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার পুরুষের জন্য প্রশ্ন, দাঁড়িয়ে না বসে? প্যারাসাইট: যাদের জীবন উঠে এসেছে অস্কারজয়ী ছবিতে", "doc2": "La manière dont les autorités gèrent l'épidémie fait l'objet de critiques croissantes La Chine a \"rétrogradé\" ou \"démis\" de leurs fonctions plusieurs personnes - des hauts fonctionnaires - impliquées dans la gestion de l'épidémie de coronavirus. Cette décision intervient à moment où le nombre de morts a dépassé les 1000. Le secrétaire du parti pour la commission de la santé du Hubei et le chef de la commission figurent parmi ceux qui ont perdu leur emploi. Ce sont les plus hauts fonctionnaires rétrogradés jusqu'à présent. A lire aussi Coronavirus : les pays africains sont-ils prêts ? Le coronavirus ''tue le médecin chinois Li Wenliang lanceur d'alertes sur le virus'' Coronavirus : la Chine construit un hôpital en 10 jours Le directeur adjoint de la Croix-Rouge locale a également été démis de ses fonctions pour \"manquement au devoir\" concernant la \"gestion des dons\". Les deux responsables du parti dans la province de Hubei seront remplacés par une personnalité nationale, le directeur adjoint de la Commission nationale de la santé chinoise, Wang Hesheng. Lundi, quelque 103 personnes sont mortes dans la seule province de Hubei, un record quotidien, et le bilan national est désormais de 1016 morts. Mais le nombre de nouvelles infections au niveau national a diminué de près de 20 % par rapport à la veille, passant de 3062 à 2478. La commission sanitaire de Hubei a confirmé lundi 2097 nouveaux cas dans la province, contre 2618 la veille. Lors d'une rare apparition publique durant l'épidémie, le président chinois Xi Jinping a visité lundi le personnel de santé à Pékin Selon les médias d'Etat, il y a eu des centaines de licenciements, d'enquêtes et d'avertissements dans la province du Hubei et dans d'autres provinces pendant l'épidémie. Mais le départ de certains fonctionnaires de leurs postes ne signifie pas toujours que la personne sera licenciée, car il peut s'agir d'une rétrogradation. En plus d'être démis de leurs fonctions, les fonctionnaires peuvent également être sanctionnés par le parti communiste au pouvoir. Par exemple, le chef adjoint de la Croix-Rouge, Zhang Qin, a reçu \"un sérieux avertissement au sein du parti ainsi qu'un sérieux blâme administratif\", selon les médias d'Etat. Au début de ce mois, le directeur adjoint du bureau des statistiques de Wuhan avait été démis de ses fonctions, également avec \"un sérieux avertissement au sein du parti ainsi qu'une sévère sanction administrative pour avoir violé les règlements relatifs à la distribution des masques faciaux\". Le chef de la commission de la santé de Huanggang, la deuxième ville la plus touchée du Hubei après Wuhan, a aussi été démis de ses fonctions. Ces derniers jours, les autorités chinoises ont été de plus en plus critiquées pour leur gestion de la crise. La mort d'un médecin dont les alertes précoces avaient été supprimées par les autorités a déclenché une colère générale de l'opinion publique. Pékin a envoyé une équipe de sa plus haute agence anti-corruption à Hubei pour enquêter sur le traitement du Dr Li par la police. Quelles sont les dernières nouvelles en Chine ? Plus de 1 000 personnes sont mortes depuis l'épidémie Il y a maintenant plus de 42 200 cas confirmés dans toute la Chine, ce qui représente la plus grave crise de santé publique du pays depuis l'épidémie de SRAS en 2002-2003. La commission de la santé du Hubei a déclaré que la province comptait au total 31 728 cas et 974 décès à la fin de la journée de lundi, soit un taux de mortalité de 3 %. Plus des trois quarts des décès ont eu lieu dans la capitale de la province de Hubei, Wuhan, l'épicentre de l'épidémie. Cette ville de 11 millions d'habitants est en quarantaine depuis des semaines. À Hong Kong, 23 ménages ont été évacués d'une propriété lundi soir et mis en quarantaine, après que des cas y ont été détectés. Le territoire a connu des mois de protestations et le directeur général Carrie Lam a déclaré : \"Pour combattre ce virus, Hong Kong a besoin de la pleine coopération et de la participation active de chaque membre de la société\". \"C'est le moment de la cohésion sociale ; c'est le moment pour chacun d'entre nous doit faire preuve de responsabilité civique\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46160517", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56624725", "doc1": "অনেকে দেশে নারীদের সন্তান ধারণ এতোটাই কমে গেছে যে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শিশু নেই। গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে সেটি বেশ চমকে দেবার মতো। সন্তান জন্ম দেবার প্রবণতা কমে যাবার কারণে এটি সমাজের উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলবে। নাতি-নাতনীর চেয়ে দাদা-দাদী কিংবা নানা-নানীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ অর্থ হচ্ছে সমাজে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিটি দেশের জন্মহারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে একজন নারী তাঁর পুরো জীবনে গড়ে ৪.৭ টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে সেটি ২.৪ এ নেমে এসেছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের মধ্যে জন্মহারের ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়। নিজারে একজন নারী তাঁর জীবনে গড়ে ৭.১ টি সন্তান ধারণ করছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নিজার-এ জন্মহার ৭.১ হলেও ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ সাইপ্রাসের মহিলারা গড়ে একটি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। অন্যদিকে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের জন্মহার ১.৭। একটি দেশে জন্মহার যদি ২.১ এর নিচে নেমে যায় তাহলে সে দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ১৯৫০ সালে যখন এ গবেষণাটি করা হয়েছিল, তখন পৃথিবীর কোন দেশের জনসংখ্যা ২.১ এর নিচে ছিল না। কোন দেশগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে? ইউরোপের অধিকাংশ দেশ, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় নারীরা কম সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে সেসব দেশের জনসংখ্যা এখনই কমে যাচ্ছে। কারণ জনসংখ্যার বিষয়টি নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। নারীদের সন্তান জন্ম দেবার হার, মৃত্যুহার এবং অভিবাসীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করছে এসব দেশের জনসংখ্যা। পৃথিবীর অর্ধেক দেশে এখনো যথেষ্ট সংখ্যায় শিশু জন্মগ্রহণ করছে। কিন্তু এসব দেশ যত অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে যাবে, ততই সন্তান জন্ম দেবার সংখ্যা কমে যাবে। কেন সন্তান জন্ম দেবার হার কমে যাচ্ছে? দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যা কমে যেতে পারে। প্রথমত, শিশু মৃত্যু কমে গেছে। শিশু মৃত্যু হার কমে গেলে মহিলারা কম সন্তান নেয়। দ্বিতীয়ত, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সহজলভ্যতা তৃতীয়ত, নারীরা শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে অনেক ক্ষেত্রে সন্তান কম জন্ম দেয়া এক ধরনের সফলতা। এর প্রভাব কী হবে? যেসব দেশে নারীরা কম সন্তান জন্ম দিচ্ছে সেসব দেশে যদি অভিবাসীরা না যায় তাহলে সেখানে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং এক পর্যায়ে জনসংখ্যা কমতে থাকবে। অক্সফোর্ড ইন্সটিটিউট অব পপুলেশন এইজিং এর পরিচালক ড. জর্জ লেসন বলেন, এটি খুব খারাপ কোন বিষয় হবে না। কারণ জনসংখ্যার পরিবর্তনের সাথে সমাজও খাপ খাইয়ে নেয়। তিনি মনে করেন, জনসংখ্যার অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়ে যাবে। বর্তমানে ব্রিটেনে চাকরী থেকে অবসরের বয়স ৬৮ বছর। কিন্তু তখন এটি হয়তো আরো বাড়াতে হবে। অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ ল্যানসেট-এ প্রকাশিত গবেষণাটি করা হয়েছে রোগের বিশ্লেষণের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব দেশে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে কিংবা বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে , সেসব দেশ দুটো বিষয়ের প্রতি নজর দিতে পারে। প্রথমত, অভিবাসীর সংখ্যা বাড়াতে পারে, যেটি তাদের নিজেদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। দ্বিতীয়ত, মহিলারা যাতে বেশি করে সন্তান ধারণ করে সেজন্য নীতি প্রণয়ন করা। কিন্তু এ ধরণের নীতি বেশিরভাগ সময় কোন কাজে লাগে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে শিশুর সংখ্যা কমে গিয়ে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা বাড়বে। এ বিষয়টি নিয়ে জাপান সজাগ রয়েছে। কারণ, দেশটিতে জনসংখ্যা কমছে। কিন্তু পশ্চিমের অনেক দেশে এর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলো অভিবাসনের মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। তবে অভিবাসন কোন সমাধান হতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।", "doc2": "Le nombre de spermatozoïdes connaît un déclin inquiétant, selon la scientifique Shanna Swan. L'attention s'est souvent concentrée sur le système reproducteur des femmes, mais l'épidémiologiste américaine Shanna Swan suggère que les hommes sont également une source d'inquiétudes. L'état actuel de la santé génésique ne peut durer longtemps sans menacer la survie de l'humanité, affirme-t-elle dans son livre \"Countdown\" (Compte à rebours). A ne pas surtout manquer sur BBC Afrique : \"Il s'agit d'une crise existentielle mondiale\", déclare le spécialiste de la fertilité, qui travaille à l'école de médecine Icahn de l'hôpital Mount Sinai à New York. Dans ce livre récemment publié, Swan souligne qu'en moyenne, une femme de 20 ans aujourd'hui est moins fertile que sa grand-mère ne l'était à l'âge de 35 ans et ajoute que, toujours en moyenne, un homme d'aujourd'hui a la moitié du sperme que son grand-père avait au même âge. Le chercheur attribue une grande partie de cette détérioration à des produits chimiques toxiques, notamment les phtalates, des substances synthétiques utilisées pour rendre les plastiques plus souples et difficiles à casser. Ces composants se trouvent dans des objets d'usage courant : emballages, shampooings, cosmétiques, meubles, pesticides ou conserves alimentaires, entre autres produits. Plusieurs études menées au cours des 20 dernières années ont montré qu'ils modifient les hormones mâles telles que la testostérone et provoquent des malformations génitales chez les bébés garçons. La scientifique Shanna Swan a publié en février le livre \"Countdown : How Our Modern World Threatens Sperm Count, Disrupting Male and Female Reproductive Development and Endangering the Future of the Human Race\". Les Centres américains de contrôle et de prévention des maladies (CDC) indiquent sur leur site web que les effets d'une exposition légère aux phtalates sont inconnus, mais reconnaissent que certains types de ces substances ont affecté le système reproductif d'animaux de laboratoire. BBC Mundo a interviewé le Dr. Swan sur ses découvertes. Dans votre livre, nous lisons que la fertilité a chuté de plus de 50 % au cours des 50 dernières années et que le nombre de spermatozoïdes pourrait tomber à zéro d'ici 2045, soit dans un peu moins de 25 ans. Comment êtes-vous parvenu à ces données ? Laissez-moi vous dire que les données sur la fécondité ne proviennent pas de mes propres recherches, mais de la Banque mondiale. La Banque mondiale est une excellente source qui fournit le taux de fécondité - c'est-à-dire le nombre moyen d'enfants qu'une femme a - pour chaque année et chaque pays depuis 1960. De 1960 à aujourd'hui, le taux a diminué de plus de la moitié, passant de cinq enfants par femme ou par couple à 2,4 enfants par femme ou par couple - soit une baisse de plus de 50 %. En ce qui concerne le déclin du nombre de spermatozoïdes et de leur concentration, il s'agit d'une donnée beaucoup plus difficile à établir et pour cela, nous avons effectué une vaste méta-analyse, une analyse des études déjà publiées, et nous avons passé en revue toutes celles qui ont été publiées au cours des 40 dernières années pour voir les données sur le sperme qui ont été rapportées par les chercheurs dans leurs pays ou études respectifs. Nous avons constaté que la concentration est passée de 99 millions de spermatozoïdes par millilitre - presque 100, ce qui est beaucoup - en 1973 à 47 millions en 2011. C'est une chute inquiétante pour un certain nombre de raisons, la principale étant qu'elle est très raide. Soit dit en passant, il s'agit des pays occidentaux, en Europe, en Amérique du Nord, en Australie et en Nouvelle-Zélande, car les pays non occidentaux ont très peu d'études publiées et nous avons effectué notre recherche en anglais, de sorte que les articles dans d'autres langues ne sont pas inclus. Si vous regardez les données des 30, 20, 10 dernières années, vous ne voyez pas que le déclin se ralentit, il n'y a donc aucune indication que le déclin se ralentit. Le chiffre de 47 millions est déjà faible et il va continuer à baisser. En dessous de 40 millions, nous arrivons à un point où il est de plus en plus difficile d'avoir un enfant, disons, de manière traditionnelle, et nous devons nous tourner vers la reproduction assistée. Dans le même ordre d'idée, certains des articles qui commentent votre livre mettent même en garde contre la fin de l'humanité. Vous parlez d'une crise existentielle mondiale. Comment la situation est-elle devenue si grave et pourquoi n'en parle-t-on pas autant ? Ouais, qu'est-ce qu'on faisait quand ça arrivait, hein ? Une chose que nous faisions, c'était de nous faire aspirer par de nombreuses autres crises. Il ne faut pas oublier le changement climatique, qui prend le pas sur d'autres crises, et maintenant la pandémie de covid-19. Mais ce phénomène est bien antérieur à la pandémie et remonte en fait à la fin de la Seconde Guerre mondiale, lorsque la production de produits pétroliers a augmenté. Le plastique et bon nombre des produits chimiques qui nous préoccupent et qui, selon moi, sont liés à ce déclin, ont commencé à être produits en grandes quantités dans le monde entier. Ce sont des produits chimiques fabriqués à partir du pétrole et de ses dérivés. La procréation assistée est de plus en plus demandée. La crise mondiale du changement climatique et la crise de la santé génésique se sont développées ensemble car elles sont liées à des produits similaires. Une autre raison pour laquelle nous ne sommes pas aussi conscients de la crise de la fertilité est que les gens ne parlent pas de la santé reproductive. Tout d'abord, les femmes sont souvent tenues pour responsables des échecs en matière de santé génésique. On part du principe que si un couple n'arrive pas à concevoir, la femme est responsable. Les gens n'ont pas envie de parler de choses dont ils se sentent mal ou coupables, et les hommes ne veulent absolument pas envisager la possibilité d'être infertiles ou d'avoir un faible nombre de spermatozoïdes, car ils ont l'impression que cela porte atteinte à leur masculinité. C'est donc une sorte de zone secrète qu'ils essaient d'éviter. Même beaucoup de couples qui ont des problèmes de conception et qui ont recours à des programmes de procréation assistée ne le disent pas à leurs amis, c'est un peu caché. Ils n'abordent pas non plus les problèmes liés aux menstruations ou à la sexualité, comme le manque de libido ou les dysfonctionnements érectiles. Ce sont tous des sujets embarrassants. Une concentration plus faible de spermatozoïdes se traduit par une plus grande difficulté à concevoir. Je pense qu'il y a là un facteur que l'on ne voit pas avec, par exemple, les problèmes cardiaques ou le diabète. Les gens ne sont pas gênés de parler de leur diabète comme ils le font pour l'infertilité. Je pense que c'est une autre raison pour laquelle nous n'avons pas fait attention, nous avons été occupés par d'autres choses et nous ne voulons pas en parler. Cela me fait penser à un cas dans mon entourage, une femme dont le fœtus est mort pendant l'accouchement. Tout allait bien, mais soudain les médecins n'ont plus trouvé de battements de cœur. J'ai été frappé par le fait que beaucoup de gens étaient surpris qu'une telle chose puisse se produire aux États-Unis, comme si cela n'arrivait que dans les pays en développement. C'est un très bon point, ce n'est pas considéré comme un problème du premier monde. C'est une autre raison pour laquelle les gens ne veulent pas aborder cette question, c'est quelque chose qui arrive aux autres, c'est \"eux\" qui ont un problème. Ou même aux États-Unis, c'est quelque chose qui arrive aux non-Blancs. Oui, il y a une part de vérité dans le fait qu'il y a un problème d'équité ici, que les personnes non-blanches ont plus de problèmes de reproduction aux Etats-Unis. Dans 23 pays, dont l'Espagne, l'Italie, le Japon et la Thaïlande, la population sera réduite de moitié d'ici 2100, selon les projections actuelles. Je pense que cela est lié à une plus grande exposition aux produits chimiques qui peuvent causer ces dommages. Il existe également d'autres facteurs de santé comme le stress, une mauvaise alimentation et d'autres choses qui se croisent avec vos problèmes de fertilité et les aggravent. Nous ne sommes pas exposés de la même manière à ces problèmes. En ce qui concerne les produits chimiques, lorsque nous essayons d'être plus conscients de ce que nous faisons, nous avons tendance à penser surtout à la nourriture et à l'eau, mais la menace, selon leurs recherches, est plus large. C'est plus vieux, oui, même si je dirais que c'est une très bonne chose que nous pensions à la nourriture, à l'eau et à l'air, parce que les produits chimiques sur lesquels j'ai fait le plus de recherches sont ceux qui se trouvent dans le plastique et qui sont appelés phtalates. Les phtalates passent dans les aliments par contact avec le plastique. Notre principale exposition à ces produits chimiques se fait par l'alimentation. Lorsque les aliments entrent en contact avec le plastique, les phtalates contenus dans le plastique souple pénètrent dans les aliments et, de là, nous atteignent. Cela peut se produire lorsque les aliments sont transformés ou même avant, dans l'emballage, lorsque les aliments sont stockés dans des récipients, ou lorsque les aliments sont consommés. Lorsque les gens me demandent ce qu'ils peuvent faire, je leur réponds : \"Essayez d'éliminer le plastique de votre cuisine. J'essaie d'utiliser des récipients en verre, en céramique et en métal. Il y a aussi le bisphénol A (généralement abrégé en BPA), qui durcit le plastique et se retrouve dans notre alimentation au contact des boîtes de conserve ou des bouteilles en plastique. Tous les plastiques durs auxquels vous pouvez penser contiennent du BPA, ou du bisphénol S ou du bisphénol F, qui sont utilisés comme alternative parce que les gens veulent acheter des produits sans BPA. Les entreprises peuvent étiqueter un produit comme étant sans BPA, mais elles y ajoutent d'autres bisphénols qui sont également dangereux, explique Shanna Swan. Lorsque je parle de la cuisine, je dois mentionner que les revêtements destinés à empêcher les aliments de coller aux casseroles ou les emballages supposés résistants à l'eau et contenant des produits chimiques dangereux sont également préoccupants. Si l'on va au-delà de l'alimentation, il faut parler du polyester dans les vêtements, des retardateurs de flamme dans les meubles, du PVC (chlorure de polyvinyle), qui est utilisé notamment en Europe pour les revêtements de sol et muraux, etc. Ce sont des produits chimiques qui peuvent affecter nos hormones et qui sont les plus inquiétants en raison de leur effet sur la testostérone, les œstrogènes... ce sont des produits chimiques connus comme perturbateurs endocriniens ou hormonaux. Lorsqu'ils pénètrent dans l'organisme, ils peuvent affecter nos propres hormones, et le moment le plus dangereux pour cela se situe dans les premiers mois de la grossesse. L'embryon se développe très rapidement, de nombreuses cellules se divisent et se retournent, et son développement a été programmé pour utiliser des hormones comme indicateurs des processus à suivre. Si ces hormones sont modifiées de telle sorte que, pour ainsi dire, elles ne reçoivent pas le message, alors le développement est altéré et c'est quelque chose que nous avons mesuré dans nos études. Nous avons observé des cas de garçons qui sont, comme on dit, \"sous-masculinisés\" en raison du manque de testostérone pendant le développement dans l'utérus et de l'effet sur leur système reproductif. Les entreprises américaines ne sont pas tenues de démontrer que les substances chimiques contenues dans leurs produits sont sûres avant de les mettre sur le marché. Nous pouvons y voir que ces produits chimiques peuvent affecter le nombre de spermatozoïdes par le biais d'une perturbation hormonale, que ce soit pendant la grossesse ou à l'âge adulte. Un fumeur a un faible taux de sperme, nous le savons, la différence est qu'un fumeur adulte peut prendre la décision d'arrêter et son taux de sperme se rétablit, mais nous ne pouvons rien faire contre l'altération qui s'est produite lorsqu'il était dans l'utérus de sa mère. C'est permanent, c'est une altération à vie. On parle aussi de produits chimiques éternels. Quels sont-ils, précisément ? Ce sont des produits chimiques comme le DDT (dichloro diphényl trichloroéthane), la dioxine ou les PCD et ils sont appelés éternels car ils ne se dissolvent pas dans l'eau et ne quittent pas le corps rapidement. Les phtalates sont le contraire, ils sont solubles dans l'eau, tout comme le BPA, ils pénètrent dans l'urine et le corps les élimine, de sorte qu'en quatre heures environ, la moitié d'entre eux sont éliminés, très rapidement. Mais les produits chimiques éternels restent là pendant des années et parfois des décennies, et ils ne sont pas seulement en nous, stockés dans les graisses, mais aussi dans l'environnement, dans les graisses des animaux comme les poissons que nous mangeons, et dans le sol qui se retrouve dans notre eau et donc nous les recevons. Le danger des produits chimiques éternels est littéralement éternel. Des produits chimiques éternels ont été détectés dans l'eau d'écoles du Massachusetts. Ce qui est bien avec les produits chimiques non persistants comme les phtalates et le BPA, c'est qu'une fois que nous les avons expulsés de notre corps, c'est fini, ils ne restent pas. Le problème est qu'ils nous atteignent toujours. Actuellement, nous avons dans notre corps, avec 90% de certitude, des phtalates et des bisphénols. Et d'ailleurs, nous n'en savons rien, nous ne savons pas quels sont les niveaux, nous ne savons pas d'où ils proviennent, la plupart des gens ne savent pas ce qu'il faut rechercher et c'est pourquoi je dis que nous sommes des cobayes. Aux États-Unis, les entreprises n'ont pas besoin de prouver que les produits chimiques sont sûrs avant de les mettre sur le marché. En Europe, c'est différent. Il existe une meilleure norme dans l'Union européenne qui stipule qu'un produit chimique doit être prouvé sûr avant d'être mis sur le marché. C'est une législation appelée Reach qui a vraiment changé le visage de l'exposition à ces produits chimiques. Mais aux États-Unis, et je dirais même dans la plupart des pays du monde, ce n'est pas le cas. Nous devons changer le système pour que l'innocuité des produits chimiques soit démontrée avant leur mise sur le marché. Cela peut se faire par le biais de tests et d'essais. Et nous devons expliquer que même une petite dose compte. Selon Shanna Swan, les plastiques qui nous entourent pourraient perturber nos hormones. Il est très surprenant de voir que la plupart des gens pensent \"oh, c'est si petit que ça ne peut pas me faire de mal\", ce n'est pas vrai. En ce qui concerne le système endocrinien, les êtres humains sont conçus pour être sensibles à de très petites modifications hormonales. Même le sexe d'un jumeau a une incidence sur le développement des hormones et du système reproductif de l'autre jumeau. Nous parlons d'expositions de moins d'une goutte dans une piscine. Cette légère exposition suffit à altérer le développement, car notre corps est extrêmement et hautement sensible aux petits changements hormonaux. En vous écoutant, je pense à certains cas notoires de scandales chimiques qui ont fait la une des journaux, comme Monsanto, Dupont, Johnson & Johnson, mais ils ne sont pas si nombreux pour la gravité du problème que vous présentez. Il s'agit d'affaires juridiques et, en droit, il est extrêmement difficile de prouver que de petites doses et de petits effets ont un effet néfaste, car ils n'affectent pas quelqu'un de façon dramatique, sauf dans les cas d'exposition sur le lieu de travail. Ainsi, les cas de forte exposition au travail peuvent être liés à des malformations congénitales particulières ou à des problèmes de santé particuliers, mais ce n'est pas le cas lorsque les personnes subissent de petits changements. Prenons l'exemple du plomb. L'exposition des enfants au plomb abaisse leur QI, mais dans une faible mesure, de sorte que si votre enfant a un QI légèrement inférieur, vous ne pouvez pas prouver que le plomb présent dans la peinture de la maison lorsque sa mère était enceinte en est responsable. Certaines affaires contre des géants de l'industrie, comme Monsanto, ont eu un grand retentissement. C'est la même situation avec ces produits chimiques. Certaines petites doses affectent des millions de personnes en petites quantités et font payer un lourd tribut économique et sanitaire à nos populations, mais il est très difficile d'établir le lien de cause à effet. Je pense que nous devons le faire de la manière dont je le fais : en étudiant de manière approfondie un produit chimique particulier et une conséquence spécifique. Je me concentre sur les phtalates et la santé reproductive et j'ai pu établir un lien assez convaincant, notamment parce que je montre leur correspondance avec les études sur les animaux et leur correspondance avec les études de laboratoire montrant l'action de ces produits chimiques sur les hormones. Lorsque vous mettez tout cela ensemble, vous avez ce que l'on appelle la charge de la preuve qui mène à une décision. C'est ce qui s'est passé en 2008 avec la loi sur la protection des consommateurs qui a rappelé certains jouets pour enfants aux États-Unis. Il faut un effort long et coûteux de la part des scientifiques, des régulateurs et des activistes pour obtenir une action. Si les fabricants faisaient leurs tests plus tôt, on n'en serait pas là. C'est la situation dans laquelle nous nous trouvons."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53330837", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52671089", "doc1": "পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর অথবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই - সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা। যদি এই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে আবদ্ধ জায়গায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে। এর আগে বিশ্বের ২০০'র বেশি বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেছিল যে করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হবার বিষয়টিকে খাটো করে দেখাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে আসছে যে হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র জলীয় ��ণা বের হয়, সেগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অবস্থানের সাথে একমত হতে পারছেন না ৩২টি দেশের ২৩৯জন বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, মানুষের কথা বলা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নেবার পর ক্ষুদ্র কণা কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। \"আমরা চাই করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়ানোর বিষয়টিকে তারা স্বীকার করে নিক,\" বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটির রসায়নবিদ জোসে জিমেনেজ, যিনি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মি: জিমেনেজ বলেন, যে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর কোন আক্রমণ নয়। \"এটা একটা বৈজ্ঞানিক বিতর্ক। তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক বার আলোচনার পরেও তারা এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। সেজন্য আমরা মনে করেছি যে বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত।\" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তথ্য-প্রমাণ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং এজন্য আরো পর্যালোচনা দরকার। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম?", "doc2": "La transmission par voie aérienne ne peut pas être exclue dans des lieux surpeuplés, fermés ou mal ventilés, a déclaré un responsable. Si les preuves sont confirmées, elles pourraient affecter les directives concernant les espaces fermés. Une lettre ouverte de plus de 200 scientifiques avait accusé l'OMS de sous-estimer la possibilité d'une transmission par voie aérienne. L'OMS a jusqu'à présent déclaré que le virus se transmet par des gouttelettes lorsque les gens toussent ou éternuent. \"Nous voulions qu'ils reconnaissent les preuves\", a déclaré à l'agence de presse Reuters Jose Jimenez, un chimiste de l'Université du Colorado qui a signé le document. Lire aussi Coronavirus : \"un milliard de personnes pourraient être infectées\" Coronavirus : moins grignoter pendant le confinement Sept manières de stopper les fausses informations \"Ce n'est certainement pas une attaque contre l'OMS. Il s'agit d'un débat scientifique, mais nous avons estimé qu'il était nécessaire de le rendre public parce qu'ils refusaient d'entendre les preuves après de nombreuses conversations avec eux\", a-t-il déclaré. Un autre signataire - le professeur Benjamin Cowling de l'Université de Hong Kong - a déclaré à la BBC que cette découverte avait \"d'importantes implications\". \"Dans les établissements de santé, si la transmission par aérosol présente un risque, nous comprenons alors que les travailleurs de la santé devraient vraiment porter le meilleur équipement préventif possible... et en fait, l'Organisation mondiale de la santé a déclaré que l'une des raisons pour lesquelles ils ne voulaient pas parler de la transmission du Covid-19 par aérosol est qu'il n'y a pas un nombre suffisant de ce type de masques spécialisés dans de nombreuses régions du monde\", a-t-il déclaré. \"Et dans la communauté, si nous pensons que la transmission par aérosol est un risque particulier, alors nous devons réfléchir à la manière d'empêcher les super-épidémies, les épidémies plus importantes et celles qui se produisent dans des environnements fermés mal ventilés, avec une foule et un contact étroit prolongé\". Les responsables de l'OMS ont averti que les preuves sont préliminaires et nécessitent une évaluation plus approfondie. Benedetta Allegranzi, responsable technique de l'OMS pour la prévention et le contrôle des infections, a déclaré que l'on ne peut exclure l'émergence de preuves de la transmission aérienne du coronavirus dans \"les environnements surpeuplés, fermés et mal ventilés qui ont été décrits\". Une position changeante ? Imogen Foulkes, BBC News Genève Depuis des mois, l'OMS insiste sur le fait que le Covid-19 se transmet par les gouttelettes émises lorsque les gens toussent ou éternuent. Des gouttelettes qui ne s'attardent pas dans l'air, mais tombent sur des surfaces - c'est pourquoi le lavage des mains a été identifié comme une mesure de prévention clé. Mais 239 scientifiques de 32 pays ne sont pas d'accord : ils affirment qu'il existe également des preuves solides suggérant que le virus peut aussi se propager dans l'air : par le biais de particules beaucoup plus petites qui flottent pendant des heures après que les gens aient parlé ou expiré. Aujourd'hui, l'OMS a admis qu'il y avait des preuves que cela était possible dans des environnements spécifiques, tels que les espaces clos et bondés. Ces preuves devront être évaluées de manière approfondie, mais si elles sont confirmées, les conseils sur la manière d'empêcher la propagation du virus devront peut-être changer, et pourraient conduire à une utilisation plus répandue des masques et à des distances plus rigoureuses, notamment dans les bars, les restaurants et les transports publics."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54708805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54720325", "doc1": "সন্ত্রাসী তৎপরতায় ইন্ধনের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া প্যারিসের একটি মসজিদ ছোটে ছোট জানালাওয়ালা ইস্পাতের ঢেউটিনের তৈরি গুদামের মত দেখতে এই মসজিদে এখন তালা। বাইরে একটি নোটিস টাঙ্গানো হয়েছে যাতে লেখা আছে ‘কট্টর ইসলামি তৎপরতায় লিপ্ত থাকা এবং শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে টার্গেট করে সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করার কারণে‘ সরকার এই মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যা এবং শিরশ্ছেদ করার প্রতিক্রিয়ায় কট্টর ইসলামের বিরুদ্ধে ফরাসী সরকার ‘দ্রুত এবং কঠোর‘ সব পদক্ষেপ নিচ্ছে। মসজিদ-সংগঠন বন্ধ, বাড়িতে তল্লাশি চলছে, গাদা গাদা নতুন তদন্ত - এমন আরো নতুন নতুন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কথা প্রতিদিন যেভাবে শোনা যাচ্ছে যে তা মনে রাখাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। “ভীতি এখন অন্য পক্ষের ওপর চাপবে“ - দুদিন আগে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর উচ্চারিত এই বাক্যটি এখন মুখে মুখে ঘুরছে। সরকারের দেওয়া হিসাবে ১২০টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কট্টর ইসলামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগে বেশ কিছু সংগঠন এবং সমিতি বাতিল করা হয়েছে। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর রাস্তা বন্ধের কৌশল নেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য বাড়তি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সাথে, পোস্ট-ভিডিও-ছবির ওপর নজরদারি বাড়াতে সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর শাসনামলে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলায় ফ্রান্সে পুলিশের সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। কিন্তু তার সরকারের কাছ থেকে এমন তৎপরতা আগে চোখে পড়েনি। ফ্রান্সে ইসলাম-বিদ্বেষের অভিযোগে মুসলিমদের সমাবেশ এখন কেন এত শক্ত পথ নিচ্ছেন তিনি? ফরাসী জনমত জরিপ সংস্থা আইএফওপি‘র পরিচালক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেরোম ফোরকোয়া বিবিসিকে বলেন, এবারের হত্যাকাণ্ডটি ছিল ভিন্নতর - একজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে এবং অত্যন্ত ‘পাশবিক‘ কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মতে, এ কারণেই সরকার এবার অত্যন্ত কঠোর। “আমরা এখন আর শুধু সংগঠিত জিহাদি নেটওয়ার্কের মোকাবেলা করছি না,“ মি ফোরকোয়া বলেন, “আমরা এখন এমন এক সন্ত্রাসীকে দেখলাম যার কট্টরপন্থায় দীক্ষা এদেশে বসেই হয়েছে।“ তিনি বলেন, “সরকার এখন মনে করছে যে শুধু আইন-শৃঙ্খলার বেড়ি দিয়ে এই সন্ত্রাসের মোকাবেলা সম্ভব নয়। তাদেরকে এখন সামাজিক নেটওয়ার্ক সামলাতে হবে, কারণ ট্র্যাজিক এই হত্যাকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে এসব নেটওয়ার্ক জনগণের মধ্যে ঘৃণার বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। পুরো এই ব্যবস্থাটি বদলাতে হবে।“ মি ফোরকোয়া বলেন, দু বছর আগে তাদের প্রতিষ্ঠানের এক জনমত জরিপে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক বলেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার ইস্যুতে সংঘাত এড়াতে তারা ক্লাসরুমে ‘সেলফ-সেন্সরশিপের‘ পথ বেছে নিয়েছেন। এই বিশ্লেষক মনে করেন, ফ্রান্সের আইনের বিরুদ্ধে এই যে ‘আদর্শিক হুমকি‘ তা মোকাবেলায় এই সরকার যে পথ নিচ্ছে তা সঠিক। কিন্তু ম্যাক্রঁ সরকারের এই কৌশল নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে ফ্রান্সে। ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার পর সায়েন্টিফিক রিসার্চের সমাজবিজ্ঞানী ল্যঁরা মুচ্চেলি মনে করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ‘মাত্রাতিরিক্ত‘ তৎপরতা দেখাচ্ছেন এবং তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তার মতে, মি ম্যাক্রঁর মাথায় এখন বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনের কথা ঘুরছে। “ম্যাক্রঁ আগুনে ঘি ঢালছেন,“ বিবিসিকে বলেন মি. মুচ্চেলি। “তিনি চাইছেন জনগণ যেন মনে না করে যে তিনি ডানপন্থী বা কট্টর ডানপন্থীদের চেয়ে এক পা হলেও পিছিয়ে। তাঁর প্রধান লক্ষ্য ২০২২ সালের নির্বাচন জেতা। উনবিংশ শতাব্দী থেকেই তাদের (কট্টর ডানপন্থীদের) প্রধান টার্গেট অভিবাসন এবং নিরাপত্তা।“ গত সপ্তাহে একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই ইস্যুতে অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ও অভিবাসী-বিদ্বেষী রাজনীতিক মারি ল পেনের ওপর ভরসা করেন। ১৮ মাস পর যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন মারি ল পেন। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ বিদেশে ভাবমূর্তি গড়তে এবং দেশে অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হলেও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ইস্যুতে জনগণের মধ্যে যথেষ্ট আস্থা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পক্ষান্তরে, তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মারি ল পেন যেভাবে ইসলামকে ফ্রান্সের জাতীয় সত্ত্বার জন্য হুমকি হিসাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর মানুষ তা বিশ্বাস করছে। স্যামুয়েল প্যাটি হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ইসলামের সমালোচরা করেছেন। সাংস্কৃতিক সংঘাত ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই মি ম্যাক্রঁ নিরাপত্তা হুমকি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভেতর একটি বিভেদ-রেখা বজায় রাখার সচেতন চেষ্টা করে গেছেন। অনেকদিন ধরে তিনি হিজাব, বুরকিনি বা স্কুলে হালাল খাবার দেওয়ার মত বিতর্কিত ইস্যুতে মতামত দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তবে ধর্মের সাথে ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংঘাত এতটাই তীব্র যে এ নিয়ে চুপ থাকা প্রায় অসম্ভব। সেপ্টেম্বর মাসে একটি পার্লামেন্টারি কমিটিতে এক শুনানির সময় হিজাব পরা একজন মুসলিম নারী কথা বলা শুরু করার সাথে সাথে মি. ম্যাক্রঁর দল অ্যঁ মাকশের এমপি অ্যান-ক্রিস্টিন ল্যাং কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।পরে ঐ এমপি বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রের হৃদস্পন্দন যেখানে সেই পার্লামেন্টের ভেতর হিজাব পরিহিত কাউকে আমি মেনে নিতে রাজী নই।“ ফ্রান্সে সরকারি চাকুরে - যেমন শিক্ষক বা নির্বাচিত মেয়র - কর্মস্থলে এমন কিছু পরতে বা ব্যবহার করতে পারেন না যাতে তার ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশিত হয়। তবে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। তারপরও একজন অভিভাবক হিজাব মাথায় দিয়ে তার বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা অথবা বুরকিনি অর্থাৎ আপাদমস্তক সাঁতারের পোশাক পরা কাউকে বিচে যেতে দেওয়া উচিৎ কিনা - তা নিয়ে ফ্রান্সে বিতর্ক কখনই থামেনি। কট্টর ডানপন্থীরা সবসময় বলে বেড়ান যে মুসলিমদের তোষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বামপন্থীরা এসব বিতর্ক তোলাকে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেন। এসব বিতর্কের মাঝেই এ মাসে ক্লাসে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পড়াতে গিয়ে নবীর কার্টুন দেখানোর ইস্যুতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিক্ষক স্যামু��়েল প্যাটিকে। আরো পড়তে পারেন: ফরাসী পণ্য বর্জন করার ডাক দিলেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি ঢাকার এক বিক্ষোভে ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার ধর্ম, একে শ্রদ্ধা করতে হবে: পল পগবা স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ফ্রান্সে। আন্তর্জাতিক মাত্রা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যেভাবে দেখাচ্ছেন দেশের ভেতর তার জনপ্রিয়তা বাড়ুক বা কমুক বাইরের দুনিয়ায়, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে, তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। লিবিয়া, বাংলাদেশ, গাজা এবং তুরস্কে বিক্ষোভ হয়েছে। তুরস্কের সাথে বাক-যুদ্ধ বেড়েছে। তুরস্কসহ কিছু মুসলিম দেশে ফরাসী পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হচ্ছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখা প্রসঙ্গে ‘ফ্রান্স কখনই কার্টুন আঁকা বন্ধ করে দেয়নি‘ বলে যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মি. ম্যাক্রঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতিবাদে ফ্রান্স তুরস্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে এসেছে। তবে ফ্রান্স এবং তুরস্কের মধ্যে বৈরিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে লিবিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাস অনুসন্ধান এবং সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক অভিযান - এসব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে উঠেছে। এখন একজন শিক্ষকের হত্যাকান্ডের পর মি ম্যাক্রঁ যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন তাতে এই দুই দেশের বিরোধে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়েছে। রাজনীতি এবং বিদেশনীতির পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে ধর্ম।", "doc2": "La décapitation du professeur d'histoire Samuel Paty près de Paris ce mois-ci a bouleversé la nation Le bâtiment, en forme de hangar avec de minuscules fenêtres perchées dans ses murs ondulés, est vide et fermé. À l'extérieur se trouve un avis officiel, plastifié contre la pluie, annonçant sa fermeture forcée ordonnée par le ministre de l'Intérieur ; l'imam de la mosquée de Pantin, Ibrahim Doucouré étant accusé d'être \"impliqué dans la mouvance islamiste\" et d'avoir partagé une vidéo sur les réseaux sociaux ciblant l'enseignant Samuel Paty. A lire aussi : La mosquée de Pantin fermée par le gouvernement La répression des autorités françaises contre l'islamisme radical, en réponse à la décapitation du professeur d'histoire près de Paris ce mois-ci, a été rapide et dure - enquêtes, fermetures de lieux de culte, des actions qui ont parfois été difficiles à suivre. \"La peur va changer de camp\", aurait déclaré le président Emmanuel Macron la semaine dernière à son Conseil de ministres. Le gouvernement a annoncé plus de 120 perquisitions de domiciles individuels, la dissolution d'associations accusées de répandre la rhétorique islamiste, des projets pour cibler le financement du terrorisme, un nouveau soutien aux enseignants et une nouvelle pression sur les entreprises de réseaux sociaux pour qu'elles contrôlent plus efficacement leur contenu. Malgré le meurtre violent d'une vingtaine de personnes au cours de son mandat, dont des policiers, une jeune femme dans une gare et des passants dans un marché de Noël, c'est la première fois que le président Macron intervient à cette échelle. Qu'est-ce qui a changé ? A lire aussi : Surveillance plus large Jérôme Fourquet est politologue et directeur de l'agence de sondage IFOP. Il estime que cette attaque était différente, le fait de cibler un enseignant d'abord, le niveau de brutalité, et qu'il y a eu un \"changement de vitesse\" au sein du gouvernement. \"Nous n'avons plus affaire à des réseaux djihadistes organisés\", a-t-il dit, \"mais à un terroriste venu de notre propre pays, un individu isolé qui s'est radicalisé\". \"Le gouvernement estime que la réponse ne peut pas uniquement concerner l'application de la loi. Il doit également gérer les réseaux sociaux et les associations, car cette affaire tragique a mis en lumière tout un réseau qui répand des discours de haine au sein de la population. Le système doit changer.\" Il a déclaré qu'une enquête de l'IFOP il y a deux ans suggérait qu'un tiers des enseignants s'étaient \"autocensurés\" pour éviter les conflits sur la laïcité. Il pense que le gouvernement a raison de contester ce qu'il considère comme des menaces idéologiques contre les lois de la République, parallèlement aux menaces sur la sécurité. Mais Laurent Mucchielli, sociologue au Centre national de la recherche scientifique en France, affirme que le président Macron et son gouvernement ont \"réagi de manière excessive\" pour des raisons politiques ; plus précisément, l'élection présidentielle de 2022. \"Macron alimente le feu\", a déclaré M. Mucchielli. \"Il ne veut pas apparaître à l'arrière-plan, comparé à la droite et à l'extrême droite. Son objectif principal est d'être réélu en 2022, [donc] il doit occuper le terrain de l'extrême droite. Et leurs thèmes, depuis la fin du XIXe siècle, sont l'immigration et la sécurité. \" Un sondage de la semaine dernière a suggéré que la dirigeante extrême droite, Marine Le Pen, est la leader politique française la plus fiable dans la lutte contre le terrorisme. M. Macron la suit de quatre points. Les deux dirigeants pourraient bien se retrouver face à face lors d'un second tour présidentiel dans 18 mois. La sécurité a été largement considérée comme le point faible de la politique du président Macron, derrière sa forte image à l'étranger et ses réformes économiques énergiques dans son pays. Mais Marine Le Pen a également fait de l'expression publique pacifique de l'islam une menace pour l'identité nationale française. La communauté musulmane manifestant contre l'islamophobie en France Tensions culturelles Au cours de son mandat, M. Macron a pris grand soin de faire la distinction entre les menaces sécuritaires et la laïcité. Pendant longtemps, il évitait souvent les questions sur les foulards, les maillots de bain burkini ou les repas scolaires halal. Mais la politique fébrile autour de l'expression religieuse en France masque parfois toute subtilité. En septembre, Anne-Christine Lang, députée du parti libéral La République en marche (LREM) de M. Macron, a quitté l'Assemblée nationale après avoir été invitée à écouter le témoignage d'une personne voilée. \"Je ne peux pas accepter qu'au sein de l'Assemblée nationale, le cœur battant de la démocratie (…), nous acceptions qu'une personne se présente en hijab devant une commission d'enquête\", a-t-elle déclaré. Un geste qui a provoqué le départ de plusieurs députés et créé une polémique dans l'hémicycle. A-t-on le droit de se présenter voilé a l'intérieur de l'Assemblée nationale ? Les fonctionnaires - tels que les enseignants et les maires - sont tenus de ne montrer aucun signe manifeste de foi religieuse, mais les membres du public ne sont pas confrontés à une telle contrainte en vertu de la loi, même à l'intérieur des bâtiments publics. Dimension internationale La question a suscité de nombreuses critiques à l'étranger. Le president Erdogan (G) et Emmanuel Macron Il y a eu des manifestations en Libye, au Bangladesh et dans la bande de Gaza, ainsi que des appels au boycott des produits français et une tension croissante avec la Turquie. Le président turc Recep Tayyip Erdogan a soutenu le boycott et a publiquement mis en question la santé mentale de M. Macron. Le dirigeant turc reproche à son homologue français d'avoir promis que la France continuerait de défendre les caricatures du prophète Mahomet. La France a rappelé son ambassadeur en Turquie. Mais, comme beaucoup de relations compliquées, celle-ci a une longue histoire. M. Macron a déjà accumulé une longue liste de griefs contre son homologue turc, y compris les opérations de la Turquie contre la milice kurde en Syrie, l'exploration de gaz en Méditerranée orientale et la violation présumée d'un embargo sur les armes libyen. Les déclarations du chef de l'État français en réponse au meurtre du professeur décapité ont déclenché un flot de critiques en France et dans de nombreux pays à majorité musulmane. De nombreux dirigeants politiques et religieux, des élus mais aussi de simples citoyens s'interrogent aujourd'hui sur les frontières entre la religion et la politique, et sur la manière dont elles sont utilisées par ceux au pouvoir."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50022728", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50851740", "doc1": "রাস্তাঘাটে নারীদের আকর্ষণ করার কৌশল শিখতে আগ্রহী পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। এডি হিচেনস এই কোর্সের হেড কোচ, আস্তে আস্তে হেঁটে তিনি মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, কোর্সের সবাই বুটক্যাম্পে পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবার। \"আমি একজন হেটেরোসেক্সুয়াল, মানে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। আমাকে একজন সেক্স-আসক্ত মানুষ বলতে পারেন। ২০০৫ সাল থেকে আমি এই 'গেমে' আছি।\" 'গেম' হচ্ছে কয়েক কোটি পাউন্ড অর্থের ব্যবসা, যেখানে পুরুষেরা অন্য পুরুষদের শেখান কিভাবে নারীদের আকর্ষণ করতে হবে, যাকে অনেকেই অন্যভাবে বলেন 'মেয়ে-পটানো'। 'মেয়ে-পটানো' নতুন কোন ব্যাপার নয়, কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে 'সিডাকশন কোচ' অর্থাৎ যারা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী আকর্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন, তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে কত নারীকে আকর্ষণ করা যায় এবং কত দ্রুত তা করা যায় সেটা শেখানো। ইউটিউবে শত শত ভিডিও পাওয়া যাবে, যার অধিকাংশ অনুমতি ছাড়া শ্যুট করা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে এই ব্যবসার বাজার বাড়ছে। অনেক অনলাইন কোর্স আছে। ইউটিউবে শত শত ভিডিও পাওয়া যায়, যেগুলোর রয়েছে হাজারো সাবস্ক্রাইবার। এই বুটক্যাম্পে পুরুষেরা কেবল পুরুষদেরই সঙ্গী আকর্ষণের কায়দা-কানুন শেখাবেন। মেয়েরা হয়ত জানেনও না যে তারা কীভাবে এ ধরণের ব্যবসার অংশ হয়ে উঠেছেন। ছদ্মবেশে একটি কোর্সে ভর্তি হয়ে বিবিসির একজন সাংবাদিক গিয়েছিলেন সরেজমিনে দেখতে যে কী শেখানো হয় ঐ ক্লাসে। এ কোর্সের শিক্ষা হাতেকলমে প্রয়োগ করতে গিয়ে যা করেন একজন পুরুষ, অনেক সময়ই সেটা নারীকে উত্ত্যক্ত করার সামিল। পুরুষেরা অন্য পুরুষদের শেখান কিভাবে নারীদের আকর্ষণ করতে হবে প্রায়শই নারীর অনুমতি ছাড়াই তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। এই দুইটিই ফৌজদারি অপরাধ। সেই ক্লাসে নানা দেশের নানা পেশার পুরুষেরা এসেছেন। যেমন আমস্টারডাম থেকে এসেছেন একজন শেফ বা রাঁধুনী, মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, ব্রাজিলের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডাবলিনের কম্পিউটার প্রোগামার এবং ম্যানচেস্টার থেকে একজন চিকিৎসক। রাস্তাঘাটে আকর্ষণ স্ট্রিট অ্যাট্রাকশন বা রাস্তাঘাটে কীভাবে মেয়েদের আকর্ষণ করা যাবে এমন একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন আদনান আহমেদ। মেয়েদের আকর্ষণ করার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আদনান আহমেদ তিনি এখন কারাগারে । রাস্তাঘাটে মেয়েদের প্রতি হুমকি এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করার দায়ে এখন বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন আহমেদ। অথচ মাত্র এক বছর আগে আহমেদ মেয়ে-পটানোতে নিজের দক্ষতা নিয়ে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দিয়েছিলেন অনলাইনে। আহমেদ রাস্তাঘাটে মেয়েদের সঙ্গে কথাবার্তার চেষ্টা করতে করতে গোপনে তাদের ভিডিও করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একজন সহপাঠী বিবিসি রিপোর্টারকে জানিয়েছিলেন, আহমেদ এরকম ২৫০টির বেশি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। আহমেদের পোস্ট করা একটি ভিডিও আহমেদের এসব ভিডিওর মধ্যে মেয়েদের পটানো এবং তাদের সঙ্গে রাত্রিযাপনের ঘটনা দেখানো হয়েছে। কখনো কখনো অন্তরঙ্গতার অডিও ক্লিপও শেয়ার করতেন আহমেদ। টার্গেট কারা? আহমেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমন দুইজন নারীর সঙ্গে বিবিসি কথা বলেছে। ৩৭ বছর বয়সী আহমেদ যখন বেথকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তখন তার বয়স ১৭ বছর। ৩৭ বছর বয়সী আহমেদ যখন বেথকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তখন তার বয়স ১৭ বছর গ্লাসগোর শপিং স্ট্রিট বলে পরিচিত রাস্তা দিয়ে কাজ শেষে একা হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন বেথ। নভেম্বরের এক রাতে অন্ধকার রাস্তায় হঠাৎ এসে আহমেদ তার পথ আটকে জিজ্ঞেস করেন \"তুমি কি রাশিয়া থেকে এসেছো?\" \"সে বলছিল সে যখন ইউক্রেন বা এরকম কোথাও ছিল, সে যৌনকর্মী ভাড়া করতো। সে খুব নোংরাভাবে বলছিল, তুমি তাদের থেকে ভালো।\" নিজের নাম সে বলেছিল এডি, আর বারবার বেথের ফোন নম্বর চাইছিল, আর বেথকে স্পর্শ করার চেষ্টা করছিল। বেথ বলছিলেন: ''সে জানত বাসের জন্য আমাকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে, যে কারণে আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম।'' \"ব্যাপরটি আমার মোটেও ভালো লাগেনি, পুরো রাত আমি ভয়ে কাটিয়েছি।\" এমিলি নামের আরেক নারীকে যখন আহমেদ অ্যাপ্রোচ করেন, তখন পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে আহমেদের একজন বন্ধু। বিবিসি বলার পরই কেবল এমিলি জানতে পারে যে আহমেদের সঙ্গে তার পুরো কথোপকথনটি অনলাইনে রয়েছে, যে কেউ চাইলেই সেটা দেখতে পারে। এমিলি জানতেনই না যে আহমেদের সঙ্গে তার কথোপকথন অনলাইনে পাওয়া যায় কিন্তু ডিজিটাল জমানায় মেয়ে পটানোর যে ব্যবসা তৈরি হয়েছে, তার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। বিবিসির প্রতিবেদন পড়ে এক ডজনের বেশি নারী পুলিশের কাছে পথে ঘাটে অপরিচিত পুরুষের কাছ থেকে আচমকা 'প্রস্তাব' পাবার ব্যপারে অভিযোগ করেছেন, যার প্রায় সব কয়টিই অশালীন আচরণের অভিযোগ। বুটক্যাম্প কেবল ব্রিটেনেই এখন এমন ডজন ডজন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের প্রশিক্ষিত পুরুষদের অনেকে নিজেকে 'পিক-আপ আর্টিস্ট' বলে পরিচয় দেন, যাদের একজন আহমেদ। 'পিক-আপ আর্টিস্ট' দের সবার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তারা এ সংক্রান্ত নানা রকম কৌশল বর্ণনা করে। যাদের অ্যাপ্রোচ করা হয়, সেই নারীদের স্পর্শ করা, অনুসরণ করা এবং স্বল্পকালীন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ক্রমাগত অনুরোধ করা হতে থাকে। কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আরো পুরুষালী হয়ে ওঠার ব্যপারে টিউটোরিয়াল দেয়া হয় কখনো তাদের অনুমতি ছাড়াই বিরক্তিকরভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। স্ট্রিট অ্যাট্রাকশন নামে একটি চ্যানেলের এক লাখ ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা এডি প্রত্যেকটি ভিউ থেকে অর্থ উপার্জন করেন। বিশেষত নিঃসঙ্গ পুরুষেরা এতে আকৃষ্ট হন, সব বয়সের পুরুষেরাই রয়েছেন। তবে এই কাজটি যে নীতিবিরুদ্ধ, সেটি সম্পর্কে সচেতন অল্প সংখ্যক পুরুষ। এদিকে, গ্লাসগোতে আহমেদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, এর একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের। ইতিমধ্যে আহমেদ নয় মাস জেল খেটেছে। এই ঘটনা প্রথম আলোচনায় আসে যখন রিটা নামের একজন নারী বিবিসিকে জানান, যে তিনি সম্ভবত 'অ্যাডি'কে চেনেন। এই ঘটনা প্রথম ফাঁস করেছিলেন রিটা নামের এই নারী কলেজের একাধিক সহপাঠী, সিনিয়র ক্লাসের ছাত্রী কিংবা শপিং মলে কাজ করা সেলস গার্ল কেউ বাদ পড়েননি আহমেদের আগ্রহের তালিকা থেকে। একদিন আহমেদ ধরা পড়ে যান, ক্লাস শেষে যে গাড়ি পার্কিং এলাকায় বসে তিনি কাজ করতেন, সেখানে গিয়ে একদিন এক ছাত্রী আবিষ্কার করেন আহমেদের গোপন জগত। শত শত অর্ধ নগ্ন নারীর ছবি, অন্তরঙ্গতার ভিডিও এবং অডিও দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই ছাত্রী। রিটা বলছিলেন, আমি মুখ খোলার পর অনেকেই এগিয়ে আসেন। \"আমি সবাইকে সচেতন করতে চাই যে আমাদের চারপাশেই এ রকম পুরুষ আছে। মেয়েদের আরো সাবধান হতে হবে।\" বিবিসির ডকুমেন্টারি প্রচার হবার পর স্ট্রিট অ্যাট্রাকশন এক বিবৃত��� দিয়ে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কখনোই পুরুষদের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহ দেয় না।", "doc2": "\"Street Attraction\" promet des résultats en seulement deux jours Eddie Hitchens se déplace au centre de la scène pendant que les hommes se mettent en cercle autour de lui pour leur introduction au camp d'entraînement. \"Salut, je suis Eddie. Je suis un hétérosexuel accro au sexe... Je fais du jeu depuis 2005, je suis entraîneur depuis 2011.\" Lire aussi : \"Game\" est un business de plusieurs millions de livres où des hommes apprennent à d'autres hommes comment draguer des femmes. Il n'y a rien de nouveau dans le fait que des hommes essaient de draguer des femmes. Mais en cette ère numérique, les coachs en séduction vendent en ligne des cours sur la façon de draguer autant de femmes, aussi vite que possible. Des centaines de vidéos de rencontres ont été publiées sur YouTube, dont beaucoup ont été filmées sans consentement Ils font partie d'une industrie mondiale en pleine croissance, reliée par un réseau de canaux vidéo Internet avec des centaines de milliers d'abonnés. Dans ces vidéos et bootcamps, seuls les hommes apprennent les règles. Les femmes ne sont même pas conscientes qu'elles font partie d'un jeu. Un jeu qui peut mener à un harcèlement persistant dans la rue et porter atteinte au consentement. Lire aussi : Hitchens fait signe au reste du groupe de se présenter, moi y compris : un journaliste en civil se faisant passer pour une nouvelle recrue. Les recrues viennent e partout: il y a un chef cuisinier d'Amsterdam, un ancien officier de la marine américaine, un ingénieur en logiciel du Brésil, un programmeur informatique de Dublin et un médecin de Manchester. Alors c'est mon tour. \"Salut. Je suis Michael Gibson\", dis-je, tout en menant la bataille psychologique pour me souvenir de mon nom d'infiltré, \"je suis un débutant qui a récemment rompu avec ma petite amie de six ans.\" Et, juste comme ça, je suis plongé dans l'expérience la plus bizarre de ma vie : un voyage dans l'industrie de la séduction. A-Game (JeuA) Adnan Ahmed a reçu la formation \"Street Attraction\" Adnan Ahmed a reçu la formation \"Street Attraction\" Il est maintenant en prison en attend son procès pour comportement menaçant et abusif envers les jeunes femmes. Mais il y a tout juste un an, il se faisait passer pour un \" pick-up artist \" appelé Addy A-Game. Lire aussi : Ahmed traînait dans le centre-ville de Glasgow avec ses compagnons d'armes, filmant en secret ses interactions avec des femmes sans méfiance dans la rue. Un de ses camarades de classe à l'université m'a informé qu'Ahmed avait téléchargé plus de 250 vidéos (y compris certaines de celles qu'il avait secrètement filmées) sur sa chaîne YouTube, se vantant de ses conquêtes sexuelles. \"La raison pour laquelle vous le faites est de vous envoyer en l'air \", a-t-il dit dans une vidéo. \"Seuls les courageux s'envoient en l'air.\" Ahmed a mis en ligne ses rencontres sous des titres comme \"les grosses filles doivent s'en vouloir\". C'était bien plus que la misogynie d'un seul homme. C'était un travail professionnel, avec un discours de vente, un coaching de style de vie, et ce qui semblait être un ensemble déconcertant de jargon : \"images de terrain\", \"numéro de proximité\", \"maraudage\". C'est le langage de ce que les \"dragueurs \"comme Ahmed appellent le \"jeu\". Dans une vidéo, Ahmed s'est vanté de ce qu'il a appelé un \"same night lay\" (le coup en une seule nuit). Plus tard dans le clip, il a filmé une femme qui dormait avec un préservatif non utilisé à côté d'elle. Lire aussi : Ahmed a même affiché en ligne des enregistrements audio de ses relations sexuelles. Il ne semblait pas que les femmes savaient qu'elles étaient enregistrées. Leur consentement à ces enregistrements ne semblait pas être très important. \"Elle est du genre pourquoi tu mets un préservatif ?\", a-t-il dit aux spectateurs d'une vidéo. \"Déni plausible. Ils veulent que vous preniez les devants. Rappelez-vous que ce n'est pas un viol... Ecoutez ses actions, son corps... pas ses mots.\" Cibles Beth avait 17 ans au moment où Ahmed l'a approchée - il en avait 37 J'ai retrouvé deux femmes qui avaient été approchées par Ahmed. Les deux ont dit que leur rencontre avec lui était restée gravée dans leur mémoire. Beth rentrait seule à pied dans la principale rue commerçante du centre ville de Glasgow après avoir fini de travailler. C'était une nuit sombre de novembre et Ahmed s'est mis sur son chemin. \"Il était comme, 'oh, vous êtes russe ?'\" Beth s'est souvenue. \"Il mentionnait quand il était en Ukraine ou quelque chose comme ça et qu'il avait engagé des prostituées. Il disait que je serais \"meilleure que les prostituées\". Il avait des manières horribles.\" Il a dit qu'il s'appelait Addy. Il a continué à demander le numéro de téléphone de Beth et à essayer de la toucher. Lire aussi : \"J'ai dit non un nombre incalculable de fois\", a dit Beth. \"J'ai donné des excuses et il était comme : \"Oh, c'est bon, donnez-moi votre numéro, peu importe\". Beth était secouée et pensait qu'il la laisserait tranquille si elle acceptait de lui donner son numéro. \"Il savait que j'allais à l'arrêt de bus, et il savait que je serais seule pendant environ une heure à attendre mon bus. \"Alors je suis restée au téléphone avec ma mère pendant 30 minutes avant de lui parler de la situation, et elle essayait juste de me donner la paix de l'esprit.\" Beth savait que ce n'était pas juste une discussion. C'était mal. \"Ce n'est pas inoffensif\", a-t-elle dit. \"J'ai passé toute la nuit terrifiée.\" Emily n'a appris que sa conversation avec Ahmed était disponible en ligne que lorsque la BBC lui a dit Un ami d'Ahmed l'a secrètement filmé alors qu'il s'approchait d'Emily, 20 ans, une étudiante de Glasgow. Ahmed a ensuite téléchargé la vidéo sur sa chaîne YouTube. J'ai entendu parler de son expérience par de nombreuses femmes qui ont été victimes de harcèlement dans la rue. \"Ce qui est ridicule, c'est que dans toute cette conversation, je suis assise là à essayer de trouver un moyen de le laisser tomber gentiment \", a-t-elle expliqué. \"Nous ne voulons pas qu'on nous traite de \"salopes\" pour avoir rejeté quelqu'un. Nous ne voulons pas être traitées de \"malpolies\" pour avoir mi fin à la discussion\", explique-t-elle. Lire aussi : Dans la vidéo, qui a depuis été supprimée, Ahmed se vantait que s'il avait rencontré Emily en vacances, il aurait certainement couché avec elle. Ou, comme il l'a dit, ça aurait été un \"coucher le même jour\". \"Cela m'exaspère, c'est frustrant\", déclare Emily. \"Les hommes qui supposent que les femmes veulent avoir des relations sexuelles avec eux font partie d'un problème beaucoup plus grand dans notre société. Il n'a probablement pas beaucoup réfléchi à cela, disant simplement que cette personne est un \"coucher du jour même\". Il a complètement mal interprété mes signaux.\" Emily et Beth n'étaient pas seules. J'ai fait une vidéo pour la plateforme numérique de la BBC Scotland, The Social, sur ce que j'avais découvert sur Ahmed. C'est devenu viral avec environ deux millions de vues dans les premiers jours. Il y a eu une manifestation dans les rues de Glasgow, menée par un groupe de femmes concernées. Au Parlement écossais, la Première ministre, Nicola Sturgeon a déclaré qu'elle avait été \"choquée et consternée\" par ce qu'elle avait vu dans mon article. Et les femmes ont continué à se manifester. \"Cet homme m'a harcelée pendant des mois en attendant devant mon bureau\"... \"Ce type m'a demandé s'il pouvait me raccompagner à la maison... puis il est devenu si agressif avec moi\". \"Je lui ai dit mon âge et il a continué à me parler. C'était un vrai monstre\". Lire aussi : Presque toutes les histoires concernaient des rencontres inconfortables. Beaucoup semblaient franchir la ligne de la persistance au harcèlement. Certaines - il s'est avéré par la suite - étaient criminelles. Plus d'une douzaine de femmes ont donné des détails à la police après la publication de mon article. Deux jours après la publication de la vidéo, Ahmed a été arrêté et accusé d'une série d'incidents de comportement menaçant et abusif. Camp d'entraînement On a promis aux étudiants des tutoriels et des leçons en ligne sur la façon de \"maîtriser leur masculinité\". Quand j'ai commencé à enquêter sur Ahmed, je ne savais pas qu'il faisait partie d'une industrie de la séduction plus large. J'ai depuis découvert qu'il n'est qu'un des dizaines de dragueurs en ligne. Ils partagent des techniques de séduction et font de la promotion croisée sur les chaînes YouTube. Lorsqu'il s'agissait de promettre des résultats rapides, un groupe se démarquait : Street Attraction. Cette entreprise offrait ce qu'ils décrivaient comme des bootcamps qui permettaient aux hommes \"d'attirer de belles femmes en deux jours\". Street Attraction comptait plus de 110 000 abonnés sur YouTube. Lire aussi : Son fondateur, Eddie Hitchens, a même fait payer le visionnement d'un de ses exploits sexuels enregistrés en secret. \"Enregistrer des choses aussi intimes en général n'est pas facile\", a expliqué Hitchens dans une vidéo. \"Si une fille sait qu'elle est filmée, elle n'agira évidemment pas de manière naturelle et ne se laissera certainement pas séduire par peur de voir sa réputation ternie\", révèle-t-il. \"Parce que nous [Hitchens et son complice] voulions capturer des réactions réelles, il fallait filmer en cachette. A la manière d'une guérilla,\" fait-il. Le camp d'entraînement s'est \"exercé\" sur les femmes qu'ils ont rencontrées dans le centre de Londres De plus, Street Attraction avait formé Adnan \"A-Game\" Ahmed. Le camp d'entraînement auquel il a participé a été filmé et mis en ligne sur sa chaîne YouTube. C'est pourquoi je me suis retrouvé devant l'hôtel Savoy, dans le centre de Londres, à un cours de formation pour les aspirants pick-up artists. C'était une journée étouffante et je portais un épais manteau matelassé pour cacher une caméra et un microphone. Il y avait six étudiants au camp d'entraînement et mon coach était le fondateur de Street Attraction, Hitchens. La première tâche était d'approcher une femme dans les 30 secondes. Lire aussi : Comme le reste des étudiants, je me suis dispersée sur le pont de Londres qui était inondé de policiers en uniforme et de manifestants colorés participant à un événement Extinction Rebellion. Finalement, je suis tombée sur deux femmes qui se tenaient devant l'un des kiosques peints à la bombe où les musiciens faisaient une vérification du son. Je n'avais aucune idée de ce qu'il fallait dire. C'était le premier test de la journée et je me débattais déjà. J'ai demandé à deux femmes si c'était une sorte de concert. \"Non\", l'une d'elles a souri, \"c'est une manifestation\". Ma question était si naïve que ça a vraiment marché. Je bavardais et finalement l'autre femme m'a offert un flyer. La conversation s'est terminée poliment. J'ai fait mes adieux et je suis retournée à la meute. C'est ce que les entraîneurs de ramassage appellent une \"approche à froid\". Lire aussi : On m'a dit que peu importe si j'aimais la femme ou non. Les entraîneurs ont indiqué une \"cible\" et nous avons été envoyés pour nous approcher en leur bloquant le chemin. Les étudiants du camp d'entraînement ont maintenant un micro pour que Hitchens puisse écouter et critiquer notre performance. Non pas que les femmes le sachent. L'ironie n'était pas perdue pour moi. J'utilisais des films clandestins pour dénoncer un groupe qui enregistrait secrètement des femmes. Je devais m'incruster sans m'impliquer pour maintenir ma couverture. Et les approches me mettaient mal à l'aise. Tout le temps, je n'arrêtais pas de penser à ma sœur et à mes cousines et à ce qu'ils penseraient s'ils recevaient les avances des étudiants. Le Dr O'Neill déclare que l'inquiétude est que le \"non\" d'une femme ne peut jamais être légitimement entendu comme un \"non\" Le Dr Rachel O'Neill, universitaire à la London School of Economics, a étudié l'industrie de la séduction pendant 10 ans. \"Il y a une idée que la séduction fournit essentiellement un modèle que les hommes peuvent suivre comme moyen d'interaction avec les femmes\", m'a dit plus tard le Dr O'Neill. \" On vous donnera donc un ensemble de lignes plus ou moins scénarisées, des routines que vous pourrez suivre. \"La plupart des camps d'entraînement passent maintenant la majorité de leur temps dans la rue, dans les bars, les cafés, les musées, les espaces publics, à pratiquer ces techniques et à les mettre en œuvre\". Lire aussi : \"Et cela signifie que les femmes sont souvent involontairement attirées dans ces interactions.\" Certaines des femmes qu'on nous a dit d'\"approcher\" ressemblaient à des adolescentes et j'ai dit à Hitchens que je les trouvais trop jeunes. J'ai 31 ans, et je ne voulais pas approcher quelqu'un qui avait l'air d'avoir la moitié de mon âge. Hitchens, qui avait 34 ans à l'époque, m'a prise à part pour m'expliquer pourquoi je devais être moins sélective. \"Ça n'a pas d'importance\", m'a-t-il dit. \"Même si elle est mineure, ce n'est pas illégal d'arrêter quelqu'un... C'était une bonne cible.\" Des agents humanitaires sont accusés d'abus sexuels sur des femmes syriennes. LMR - 'Résistance de dernière minute' au sexe Le deuxième jour du camp d'entraînement. Nous nous sommes assis sur les marches de la colonne de Nelson à Trafalgar Square et avons écouté l'entraîneur George Massey nous parler de la leçon du jour sur la \" LMR \". LMR signifie \"résistance de dernière minute\" au sexe. Elle est considérée par les artistes de la drague comme une tentative symbolique des femmes de rejeter le sexe - un obstacle à surmonter. \"Vous devez être celui qui dirige \", a expliqué M. Massey. \"L'ambiance générale est que vous en assumez la responsabilité. \"Ouais, je sais, je suis juste un animal et je ne peux pas résister.\" Dans l'une de ses vidéos, Hitchens a déclaré que vous devriez \"poursuivre l'escalade\" si une fille dit que vous \"allez trop vite\". Hitchens continue ensuite en disant : \"si elle dit qu'on fera l'amour la prochaine fois, tu peux répondre par : pourquoi perdre du temps ? C'est arrogant de penser qu'il y aura une prochaine fois.\" \"Il y a une idée avec la LMR que les femmes opposent une certaine résistance supposée symbolique avant d'avoir des relations sexuelles \", explique le Dr Rachel O'Neill. \"Et c'est quelque chose, encore une fois, sous une logique de séduction que les femmes font pour essayer de sauvegarder leur réputation. Et ce qui est vraiment inquiétant, c'est que cela crée une situation dans laquelle le \"non\" d'une femme ne peut jamais être légitimement entendu comme un non. Richard Hood (R) a dit aux étudiants que \" les hommes peuvent être trop préoccupés par le consentement \". Massey nous a présenté le prochain entraîneur, Richard Hood. Massey l'a appelé le \"Roi de LMR\". Hood ressemblait plus à un vendeur sous haute pression qu'à quelqu'un de vraiment intéressé par ce qu'une femme pourrait vouloir. \"Quand vous arrivez à l'appartement, dites-lui d'enlever ses chaussures - dès que vous passez la porte d'entrée - vous commencez à enlever vos chaussures, c'est essentiellement la première partie de l'escalade\", nous a-t-il dit. \"Certaines filles peuvent être ennuyeuses. Si elles sont déjà dans leurs chaussures et leur veste, elles se diront : \" D'accord, d'accord, ça suffit pour ce soir... nous laisserons le reste pour la prochaine fois \"... De toute évidence, c'est frustrant. \"Parfois, les gars sont un peu trop timides ou un peu trop effrayés pour continuer à avancer parce qu'ils veulent... ils veulent tellement de consentement. Je veux dire qu'ils veulent beaucoup de choses comme... une autorisation écrite de sa part, comme, vous savez, 'c'est bon qu'on aille jusqu'au bout'. Parce que c'est une nuance, évidemment, tu dois... tu dois sentir le bon moment, et parfois c'est ton travail de faire avancer les choses et de diriger,\" explique-t-il. L'Allemagne adopte le mariage homosexuel J'ai demandé à l'avocate criminelle Kate Parker son opinion professionnelle sur la façon d'enseigner aux hommes comment surmonter la résistance de dernière minute au sexe et je lui ai montré quelques vidéos des entraîneurs. \" Je pense que c'est vraiment troublant, parce que cela encourage ces jeunes hommes à contourner les signaux d'alarme qui sont lancés par ces femmes et auxquels ils devraient être sensibles et attentifs, et auxquels ils devraient réagir \", m'a-t-elle dit. \"D'après ce que j'ai vu, il ne semble pas y avoir d'infractions sexuelles là-bas, pour l'instant. Mais plus on enseigne la résistance de dernière minute, et plus on apprend à ces jeunes hommes à ignorer tout signe de manque de consentement, plus on se rapproche du territoire des infractions sexuelles\". Le chef de Rape Crisis Scotland, Sandy Brindley, m'a dit : \"Je pense que les dragueurs ne rendent pas du tout service aux hommes en recommandant ces techniques... Et mon conseil serait le suivant, ce n'est pas l'approche à adopter car vous pourriez vous retrouver face à des conséquences très, très graves.\" Confrontation Richard Hood a nié avoir enseigné aux hommes comment faire pression sur les femmes pour qu'elles aient des rapports sexuels Cinq mois après le bootcamp, je suis retourné à Londres - cette fois-ci en tant que journaliste de la BBC pour défier les entraîneurs de drague que j'avais rencontrés. Après des semaines de refus de m'engager, j'ai trouvé Eddie Hitchens en train d'entraîner un autre groupe d'hommes. Je lui ai demandé pourquoi il faisait pression sur les femmes pour qu'elles aient des relations sexuelles. Il était scandalisé. \"C'est complètement faux\", a-t-il dit. \"C'est complètement faux. Vous l'avez complètement déformé hors contexte... Mon frère. C'est un art. C'est un art... C'est complètement consensuel.\" \"En fait, nous aidons les hommes... donc si nous aidons à prévenir la culture du viol, c'est pour les empêcher de s'impliquer dans quelque chose d'illégal ou de non consensuel.\" Richard Hood a nié avoir enseigné aux hommes comment faire pression sur les femmes pour qu'elles aient des rapports sexuels et a dit que toutes les femmes étaient enregistrées avec leur consentement. \"Nous ne filmons jamais les filles. Nous avons eu des actrices\", m'a-t-il dit. \"Donc vous n'avez rien fait de mal ?\" Je lui ai demandé. \"Correct\", dit-il. Sandhya, Rani et bien d'autres encore partagent leurs calvaires à Bombay. \"Et vous ne pensez pas que vous enfreignez la loi ?\" Je lui ai demandé. \"Bien sûr que non\", répond-il. Après avoir parlé à Richard Hood, Street Attraction a supprimé la vidéo secrètement filmée sur laquelle je l'ai interrogé. Puis, peu avant que mon film documentaire ne soit diffusé, YouTube a supprimé plus de 100 vidéos postées par Street Attraction. Un porte-parole de YouTube m'a dit que la plateforme avait \"supprimé les chaînes Addy A Game et Street Attraction.\" \"YouTube interdit strictement tout contenu explicite à caractère sexuel, graphique ou harcelant.\" \"Rien n'est plus important que la protection de la sécurité de notre communauté, et nous continuerons à revoir et affiner nos politiques dans ce domaine.\" Un autre coach de Street Attraction appelé George Massey m'a dit plus tard que son rôle est \"d'aider les gens dans le domaine des rencontres\". S'il a déjà dit quelque chose d'inapproprié à un homme qui cherche du soutien, a-t-il dit, personne ne le lui a jamais dit. Il a déclaré qu'il reçoit des lettres de remerciement d'hommes qui sont maintenant dans des relations saines. Il a ajouté : \"Je ne prétends pas être imperméable à l'erreur\". La BBC a confronté le fondateur de Street Attraction, Eddie Hitchens Hitchens a nié avoir dit à ses élèves qu'ils devaient approcher des adolescents. \"Pas vrai\", a-t-il dit. \"La chose que j'enseigne est exactement ça. Découvrir l'âge de la fille avant de faire quoi que ce soit de sexuel, de flirt... Vous déformez en gros ce que nous faisons. C'est absolument dégoûtant et nous vous verrons au tribunal.\" 'Menaçant et abusif' Pendant ce temps, à Glasgow, le procès d'Adnan Ahmed s'est achevé. Une victime de 18 ans qui a témoigné a décrit avoir été interpellée dans un centre commercial par Ahmed, qui a maintenant 38 ans. \"Il a mis sa main sur mon dos, à ma taille. Il a mis sa main sur ma joue et a essayé de m'embrasser. J'ai levé mes mains et je lui ai demandé ce qu'il faisait. Il n'y a pas eu de conversation du tout. J'ai ensuite demandé à quelu'un du public si je pouvais me tenir à côté de lui parce que je me sentais vulnérable et isolée. Il était plus grand que moi, alors j'ai eu peur de faire une scène.\" Dans son témoignage, Ahmed a déclaré que ses approches auprès des femmes étaient inoffensives et qu'il a cessé dès qu'il a découvert qu'elles avaient 17 ans ou moins. Le jury n'était pas d'accord. Ahmed a été reconnu coupable de cinq accusations de comportement menaçant et abusif et a été placé en détention préventive en vue de l'imposition d'une peine. Il avait déjà passé neuf mois en détention préventive. Rita était l'une des femmes qui avaient dénoncé les activités d'Ahmed Pendant que l'affaire était en cours, Rita était au tribunal pour soutenir les femmes. Elle était l'une des femmes qui avaient dénoncé les activités d'Ahmed, et c'est son appel à la BBC qui m'a fait enquêter sur A-Game. Rita pensait connaître \"Addy\". Ils étaient tous deux étudiants à l'université de Glasgow où ils essayaient d'obtenir un diplôme en travail social. Ils vivaient tous les deux dans la région de Glasgow, ils faisaient du covoiturage ensemble pour aller en classe. C'était jusqu'à ce qu'Ahmed manque un jour d'université, donnant à l'un des camarades de classe de Rita l'occasion de montrer au reste du covoiturage ce qu'Addy faisait exactement pendant son temps libre. On a montré à Rita une série d'images d'Ahmed avec des femmes à moitié nues, tirées de son compte Instagram et de sa chaîne YouTube. \"J'étais en quelque sorte dans un flot de larmes et je pensais, qu'est-ce que c'est, est-ce qu'il est comme un proxénète ou est-ce un réseau de prostitution ?\" dit-elle. \"J'ai commencé à regarder les vidéos et je me suis sentie malade. Je me sentais physiquement malade. Il ne s'agissait pas de savoir comment parler à une fille, c'était beaucoup plus sombre, beaucoup plus sombre. Elles [les femmes dans ses vidéos] ne savent pas qu'elles sont filmées. Elles ne savent pas qu'elles sont enregistrées. Donc, dès le départ, c'est miteux, c'est sournois.\" \"J'ai réalisé que c'est un problème universel\", dit Rita. \"Je veux juste que les femmes et les jeunes filles soient conscientes qu'il y a ces hommes prédateurs, dans nos universités et sur nos lieux de travail.\" A l'époque de #MeToo, les femmes se battent contre le harcèlement masculin Dans une déclaration publiée par Street Attraction à la suite de notre documentaire, ils ont nié tout méfait et souligné qu'ils n'ont jamais préconisé ou enseigné aux hommes d'avoir des relations sexuelles avec des mineurs."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41416024", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-41414392", "doc1": "সৌদি নারীদের যাতায়াতের জন্য আট লাখের মত ড্রাইভার রয়েছে। সৌদি মহিলা এমপি লাতিফা আলশালান বলেছেন, \"সৌদি নারী সমাজের জন্য এটা বিশাল এক বিজয়। তারা দশকের পর দশক ধরে এই অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে।\" মানাল আল শরিফ নামে যে সৌদি নারী আইন ভেঙ্গে গাড়ী চালানোর জন্য কারাগারে গিয়েছিলেন, তিনি টুইট করেছেন, \"সৌদি আরব চিরদিনের জন্য বদলে গেছে।\" বাদশাহ সালমানকে অভিনন্দন জানিয়েছে এমনকী যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সাথে সাথেই প্রশ্ন উঠেছে, মহিলাদের যাতায়াতের জন্য যে লাখ লাখ অভিবাসী ড্রাইভারের সৌদি আরবে চাকরি হয়েছে এবং হচেছ, তাদের কী হবে? এক হিসাবে, শুধু সৌদি নারীদের যাতায়াতের প্রয়োজনে সেদেশে ৮০০,০০০ ���্রাইভার কাজ করে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশি। সঠিক হিসাবে পাওয়া না গেলেও, ঢাকায় শীর্ষ একজন জনসম্পদ রপ্তানিকারক আলী হায়দার চৌধুরী বিবিসিকে বলছেন, গৃহকর্মে কাজের জন্য নতুন করে লোক নিয়োগের ভিসা দেওয়া শুরুর পর গত দেড় বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৫০,০০০ লোক ড্রাইভারের চাকরি নিয়ে সৌদি আরব গেছেন। জেদ্দায় রেন্ট- এ-কার ব্যবসার সাথে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন বাহার বকুল। তিনি বিবিসিকে বলেন, প্রচুর বাংলাদেশীকে তিনি চেনেন যারা বিভিন্ন সৌদি পরিবারে গাড়ী চালকের কাজ করেন। \"অনেক বাড়িই কয়েকজন ড্রাইভার কাজ করে। মনে করেন, তিনটি বাচ্চা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে যায়, তাদের তিনজনের জন্যই হয়তো তিনজন ড্রাইভার। অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার।\" নারীরা গাড়ি চালানো শুরু করলে তাদের চাকির কি হুমকিতে পড়তে পারে ? বাহার বকুল বললেন, এখনই চট করে বলা মুশকিল। \"একজন ড্রাইভারের বেতন কম করে ১৫০০ রিয়াল। মহিলারা গাড়ি চালাতে পারলে হয়তো অনেক পরিবার পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে।\" মি বকুল বলেন, সৌদি আরবে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কাজে মহিলাদের দেখা যাচ্ছে যেটা আগে দেখাই যেতনা। \"সুপার মার্কেটগুলোতেও এখন মেয়েরা কাজ করছে। গাড়ি চালাতেও দেখবো হয়তো কিছুদিন পর।\" অনেক সৌদি বাসাবাড়িতে তিন-চারজন করে ড্রাইভারও কাজ করে জনসম্পদ রপ্তানিকারক আলী হায়দার চৌধুরী, যিনি ২২ বছর সৌদি আরবে ছিলেন, তিনি মনে করছেন গাড়ী চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেরেও অদূর ভবিষ্যতে খুব কম সৌদি মহিলাই হয়তো গাড়ি চালাবেন। \"আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সৌদি সমাজ এতটাই রক্ষণশীল যে তাদের কতজন গাড়ি চালাবেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পশ্চিমা দেশে গিয়ে পড়াশোনা করে আসা কিছু হয়তো গাড়ি চালাবেন, কিন্তু সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়।\" উদাহরণ হিসাবে মি চৌধুরী কাতার এবং কুয়েতের কথা উল্লেখ করেন। \"কুয়েত, কাতারেও মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারে। কিন্তু তারপরও ঐ দুই দেশে অনেকেই বাসাবাড়িতে ড্রাইভারের কাজ নিয়ে যাচ্ছে।\" মি চৌধুরীর মতে, কত সৌদি নারী ড্রাইভারের পয়সা বাঁচাতে গাড়ি চালাবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে সৌদি অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির ওপর।", "doc2": "C'est le seul pays au monde où les femmes n'étaient pas autorisées à conduire. Cette mesure, réclamée depuis 1990 par des militantes dont certaines ont été arrêtées pour avoir défié l'interdiction, doit entrer en vigueur à partir de juin 2018. Les agences concernées devront procéder \"à tous les changements nécessaires dans les réglementations en vigueur\" et développer les infrastructures pour accueillir \"des millions\" de candidates au permis de conduire, a expliqué l'ambassade saoudienne à Washington. Le secrétaire général de l'ONU, Antonio Guterres, salue une avancée pour les femmes dans ce royaume ultraconservateur. Le royaume saoudien exécute un plan de réformes économiques et sociales à l'horizon 2030 pour limiter sa dépendance au pétrole. En même temps, il compte assouplir certaines mesures imposées aux femmes. LIRE AUSSI Arabie Saoudite: \"une taxe du pêché\" Arabie Saoudite : un chroniqueur suspendu pour blasphème Arabie Saoudite : une image \"porno\" fait scandale"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55569414", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55577074", "doc1": "বিক্ষোভকারীদের দখলে ওয়াশিংটনে কংগ্রেস ভবন এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে \"লজ্জাজনক দৃশ্য\" বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে \"শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের\" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, \"ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।\" এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ বলেছেন, \"এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশে এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।\" এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের উপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে, আর সেটি হচ্ছে \"এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।\" কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, \"গণতন্ত্রের উপর এই আঘাতের ঘটনায়\" \"কানাডিয়ানরা প্রচন্ড বিরক্ত\"। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা \"গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের\" নিন্দা জানিয়েছেন। ক্যাপিটলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা \"আজ একটি কালো দিন ছিল\" বলেন পেন্স সহিংসতার পরও সেনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, \"যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।\" এর আগে ভ���ইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স। সেনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে \"ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।\" পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, \"যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।\" \"সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত।\" \"যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।\" মিচ ম্যাককনেল ক্যাপিটলে প্রবেশ করছেন। রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, \"আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।\" \"তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।\" তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। ডেমোক্রেটিক সেনেটর চাক শুমার বলেন, \"৬ই জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।\" সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি। \"এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।\" শুমার বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা \"অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী\" যারা \"আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।\" এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন। \"ট্রাম্প প্রশাসনের সেবা করার সুযোগ আমার জন্য সম্মানের ছিল এবং যে নীতি আমরা বাস্তবায়ন করেছি সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত,\" তিনি বলেন। \"কংগ্রেসের হলে যেহেতু আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাই আজ আমাকে যা দেখতে হয়েছে তার জন্য আমি খুব বিরক্ত।\" নিরাপত্তা রক্ষীদের হটিয়ে ক্যাপিটল দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। ম্যাথিউ জানিয়েছ��ন যে তার পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। সেই সাথে তিনি বলেন যে, \"আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দরকার।\" এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী ঘটেছিল? আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে। দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থক বিক্ষোভকারী জো বাইডেন ঘটনাকে একটি 'বিদ্রোহ' বলে আখ্যায়িত করেন, আর মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এই শোরগোলের মধ্যে মি. বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ - হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সেনেট-এর যৌথ অধিবেশন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ক্যাপিটল ভবন নিরাপদ হওয়ায় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা যৌথ অধিবেশন আবার শুরু করবেন এবং জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন। নারী গুলিবিদ্ধ হামলা চলাকালে ভবনের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার খবর পাওয়া গেছে এবং অন্তত একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বলছে, গুলিবিদ্ধ নারী মারা গেছেন। হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ এর সভাকক্ষের প্রবেশদ্বারে অস্ত্র তাক করার দৃশ্য দেখা গেছে। কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার কর�� হয়েছে। ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের ''আমরা ট্রাম্পকে ভালোবাসি' শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করতে দেখা গেছে। একজন ট্রাম্প সমর্থকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে সে সেনেট-এর সভাপতির আসনে বসে আছে। 'নজিরবিহীন আক্রমণ' মি. ট্রাম্প তার ভিডিওতে তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবী করেন জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে যদিও তিনি কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি। ''আমি তোমাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি তোমরা কষ্ট পেয়েছ,'' তিনি বলেন. ''তোমাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে, আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।'' জো বাইডেন বলেন এই বিক্ষোভ 'একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।'' ''এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে,'' মি. বাইডেন বলেন। দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ''আমেরিকা বাচাও'' নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।", "doc2": "Les partisans du président américain Donald Trump ont pris d'assaut le Capitole américain mercredi L'émeute a forcé la suspension d'une session conjointe du Congrès pour certifier la victoire électorale de Joe Biden. De nombreux chefs d'Etat ont appelé à la paix et à une transition ordonnée du pouvoir, qualifiant ce qui s'est passé d'\"horrible\" et d'\"attaque contre la démocratie\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Le Premier ministre britannique Boris Johnson a condamné ces \"scènes honteuses\". \"Les États-Unis sont les défenseurs de la démocratie dans le monde entier et il est maintenant vital qu'il y ait un transfert pacifique et ordonné du pouvoir\", a-t-il écrit sur Twitter. D'autres politiciens britanniques se sont joints à lui pour critiquer la violence, le chef de l'opposition Sir Keir Starmer qualifiant cette action d'\"attaque directe contre la démocratie\". Le ministre de l'intérieur, Priti Patel, a déclaré à la BBC que les commentaires de M. Trump \"ont directement conduit\" ses partisans à prendre d'assaut le Congrès et à s'affronter à la police. A regarder : La police verrouille le Capitole américain après que les partisans de M. Trump aient franchi les lignes de sécurité Le premier ministre écossais Nicola Sturgeon a tweeté que les scènes du Capitole américain étaient \"tout à fait horribles\". En Allemagne, la chancelière Angela Merkel a indiqué que ceux qui ont pris d'assaut le parlement américain étaient des \"agresseurs et des émeutiers\" et qu'elle se sentait \"en colère et aussi triste\" après avoir vu les images de la scène. Elle l'a déploré lors d'une réunion des conservateurs allemands : \"Je regrette beaucoup que le président Trump n'ait toujours pas admis sa défaite, mais qu'il n'ait cessé de faire planer des doutes sur les élections\". Entre-temps, la Chine a tenté d'établir des comparaisons entre les émeutiers qui sont entrés au Congrès pour tenter de renverser le résultat des élections américaines et les manifestants pro-démocratie qui ont pris d'assaut le Conseil législatif de Hong Kong l'année dernière. La porte-parole du ministère des affaires étrangères, Hua Chunying, a dit que les événements à Hong Kong étaient plus \"graves\" que ceux de Washington, mais \"pas un seul manifestant n'est mort\". La comparaison entre les deux incidents a suscité l'indignation des militants pro-démocratie de Hong Kong et de leurs partisans. Lire aussi : La Russie a jugé le système électoral américain \"archaïque\" et la politisation des médias d'être à l'origine des troubles de mercredi à Washington. \"Le système électoral américain est archaïque, il ne répond pas aux normes démocratiques modernes, ce qui crée des opportunités pour de nombreuses violations, et les médias américains sont devenus un instrument de lutte politique\", a déclaré la porte-parole du ministère des affaires étrangères, Maria Zakharova. Ailleurs en Europe, l'ensemble des dirigeants ont qualifié les scènes de Washington d'attaque contre la démocratie. Le Premier ministre espagnol Pedro Sánchez a affirmé : \"J'ai confiance dans la force de la démocratie américaine. La nouvelle présidence de Joe Biden surmontera cette étape tendue, en unissant le peuple américain\". Dans une vidéo sur Twitter, le président français Emmanuel Macron a insisté : \"Lorsque, dans l'une des plus anciennes démocraties du monde, les partisans d'un président sortant prennent les armes pour contester les résultats légitimes d'une élection, une idée universelle - celle d'\"une personne, une voix\" - est mise à mal\". \"Ce qui s'est passé aujourd'hui à Washington DC n'est pas américain, c'est certain. Nous croyons en la force de nos démocraties. Nous croyons en la force de la démocratie américaine\", a-t-il ajouté. Le Premier ministre suédois Stefan Lofven a qualifié l'incident de \"préoccupant\" et a rétorqué qu'il s'agissait d'une \"attaque contre la démocratie\". Les principaux dirigeants européens ont également fait connaître leur point de vue. Le président du Conseil européen, Charles Michel, a déclaré qu'il faisait confiance aux États-Unis pour \"assurer un transfert pacifique du pouvoir\" à M. Biden, tandis que la présidente de la Commission européenne, Ursula von der Leyen, a dit qu'elle se réjouissait de travailler avec le démocrate, qui a \"remporté l'élection\". Comme beaucoup d'autres personnalités mondiales, le secrétaire général de l'alliance militaire de l'OTAN, Jens Stoltenberg, a soutenu que le résultat de l'élection \"doit être respecté\". Pour sa part, le secrétaire général des Nations unies, António Guterres, a été \"attristé\" par les événements survenus au Capitole américain, selon son porte-parole. Ces événements ont également choqué le proche allié et voisin de l'Amérique au nord. Le Premier ministre Justin Trudeau a expliqué que les Canadiens étaient \"profondément troublés et attristés par l'attaque contre la démocratie\". \"La violence ne réussira jamais à passer outre à la volonté du peuple\". La démocratie aux États-Unis doit être maintenue - et elle le sera\", a-t-il écrit sur Twitter. Lire aussi : De Nouvelle-Zélande, le Premier ministre Jacinda Ardern a tweeté que \"la démocratie - le droit des gens à exercer un vote, à faire entendre leur voix et à faire respecter cette décision de manière pacifique - ne devrait jamais être défait par une foule\". Le Premier ministre australien Scott Morrison - un autre proche allié des Etats-Unis - a condamné ces \"scènes de détresse\" et a rappelé qu'il attendait avec impatience un transfert pacifique du pouvoir. En Inde, la plus grande démocratie du monde, le Premier ministre Narendra Modi - qui a entretenu de bonnes relations avec le Président Trump - a affirmé qu'il était \"bouleversé de voir les nouvelles sur les émeutes et la violence\" à Washington. \"Le transfert de pouvoir doit se poursuivre de manière ordonnée et pacifique\", a-t-il tweeté. La Turquie, alliée par le biais de l'OTAN, a signalé qu'elle invitait \"toutes les parties\" à faire preuve de \"retenue et de bon sens\". Selon le gouvernement vénézuélien, que les Etats-Unis ne reconnaissent pas comme légitime, \"avec cet épisode regrettable, les Etats-Unis souffrent de la même chose que ce qu'ils ont généré dans d'autres pays avec leurs politiques d'agression\". Dans des déclarations sur Twitter, le président argentin Alberto Fernández et le président chilien Sebastián Piñera ont également condamné les scènes à Washington. M. Piñera a rassuré que le Chili \"fait confiance à la solidité de la démocratie américaine pour garantir l'État de droit\". Au Japon, l'un des plus proches alliés et partenaires des États-Unis, le chef de cabinet Katsunobu Kato a spécifié que le gouvernement espérait un \"transfert pacifique du pouvoir\" aux États-Unis. Aux Fidji, le Premier ministre Frank Bainimarama, qui a mené un coup d'État en 2006, a également exprimé son indignation face aux événements qui se sont déroulés. Et à Singapour, le ministre principal Teo Chee Hean a déclaré avoir assisté aux scènes \"choquantes\", ajoutant : \"C'est un jour triste.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54948827", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-55116506", "doc1": "ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সেনাদের টহলের দৃশ্য দেখানো হয় এরিত্রিয়ার আসমারা শহরের বাইরে একাধিক রকেট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে সেখানে সাথে সাথে কোনো হতাহতের খবর ��াওয়া যায়নি। টিগ্রে'র ক্ষমতাসীন দল, যারা ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, তারা হামলার হুমকি দিয়েছে। ঐ দলের বাহিনী এর আগে ইথিওপিয়ার অন্য একটি অঞ্চলে রকেট নিক্ষেপ করেছে। টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) বলেছে যে, তারা শুক্রবার আমহারা অঞ্চলের দু'টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং আরো হামলার হুমকি দিয়েছে। টিপিএলএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে অস্থিরতা গত মাসে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইথিওপিয়া ও এরিত্রিয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। টিগ্রেকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘাত সুদানেও প্রভাব ফেলেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ১৭ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক ইথিওপিয়ার সীমান্ত পার করে সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: আফ্রিকায় অসমাপ্ত এক যুদ্ধের দু দশক আফ্রিকার যে শহরটি ইসলামের 'চতুর্থ পবিত্রতম' শহর বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশের স্বাধীনতা অর্জন আলাদা সংঘাতে আহতদের জন্য রাজধানী আদ্দিস আবাবায় রক্তদান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে এরিত্রিয়ায় কী হচ্ছে? শনিবার রাতে আসমারার নাগরিকরা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনার খবর জানায়। নাম প্রকাশ না করে একজন কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে জানায়, \"আমরা যেসব খবর পাচ্ছি, তা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বিমানবন্দরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি রকেটের আঘাত হয়েছে।\" এরিত্রিয়ার আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা টেসফা নিউজের ওয়েবসাইট টুইট করেছে যে, টিগ্রে'র টিপিএলএফ নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল থেকে ছোঁড়া রকেট বিমানবন্দরে আঘাত না করে শহরের উপকণ্ঠে আঘাত করেছে। টিপিএলএফ'এর একজন মুখপাত্র এর আগে এরিত্রিয়ার বিপক্ষেও হামলা করার হুমকি দিয়েছে। এরিত্রিয়ার সরকার যদিও চলমান এই সংঘাতে নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, তবে বিবিসি'র আফ্রিকা অঞ্চলের সম্পাদক উইল রস বলছেন সীমান্ত অঞ্চল থেকে পাওয়া খবরে বিপরীতটিকেই সত্য মনে হয়। টিগ্রে'র সেনাদের বিরুদ্ধে একটি সেনাঘাঁটি দখল করে নেয়ার অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় সরকার, তারপর সংঘাত শুরু হয় কী হচ্ছে ঐ অঞ্চলে: বিবিসি সংবাদদাতার বিশ্লেষণ এরিত্রিয়ায় মিসাইল হামলার ঘটনার পর ঐ অঞ্চলের সংঘাত আরো জটিল হয়েছে এবং সমস্যার সমাধানের পথও আরো কঠিন হয়েছে। এই হামল��র ফলশ্রুতিতে ঐ পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। তবে ঐ অঞ্চলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমির প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছিলেন যে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে, বিশেষ করে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ ও এরিত্রিয়ার স্বৈরাচারী নেতা ইসাইস আফওয়ের্কি একে অপরের মিত্র হওয়ার পর থেকে। এখন দুই নেতারই একই শত্রু - টিপিএলএফ'এর টিগ্রেয়ান রাজনীতিবিদরা, যারা ইথিওপিয়া ও এরিত্রিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছেন। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষিত হয়ে এসেছে এখন পর্যন্ত। যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার বেসামরিক শরণার্থী সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৯১ সালে মেঙ্গিসতু হাইল মারিয়ামের উৎখাতে বড় ভূমিকা ছিল টিপিএলএফ'এর, ১৯৭৫ সালের ছবিতে ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে মেংগিসতু হাইল মারিয়াম (ডানে) সাম্প্রতিক সহিংসতা কতটা শঙ্কার? সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে শত শত মানুষ মারা গেছে। এই সপ্তাহে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে সোমবার মে কাদেরা শহরের 'শত শত মানুষকে ছুরিকাঘাতে বা কুপিয়ে হত্যা' করার ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছে তারা। সংস্থাটি বলছে, তারা 'শহরের বিভিন্ন এলাকায় মরদেহ পড়ে থাকার এবং স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়ার লোমহর্ষক ছবি ও ভিডিও যাচাই' করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ টিগ্রে'র নেতাদের সমর্থক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। টিপিএলএফ অবশ্য হামলার সাথে কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে। সংঘাতের কারণে টিগ্রে'তে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ কঠিন হয়ে গেছে। এ এলাকায় খাবারের আটা ও জ্বালানির পাশাপাশি পানিরও ঘাটতি দেখা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই (বামে) ও এরিত্রেয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইস আফওয়ের্কি, ২০১৮ সালে সরকার ও টিপিএলএফ কেন যুদ্ধ করছে? ২০১৮ সালে মি আবিই ক্ষমতা নেয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক দশক ধরে ইথিওপিয়ার সেনা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে টিপিএলএফ'এর কর্তৃত্ব বজায় ছিলো। গত বছর মি. আবিই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙ্গে দেন এবং একাধিক নৃতাত্বিক ���োষ্ঠী ভিত্তিক আঞ্চলিক দল গঠন করেন এবং তাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেন। টিপিএলএফ ঐ দলে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেপ্টেম্বরে ঐ দ্বন্দ্ব আরো বৃদ্ধি পায় যখন টিগ্রে'তে একটি আঞ্চলিক নির্বাচন হয়। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির জন্য সেসময় পুরো দেশে সব ধরণের ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। মি. আবিই সেসময় ভোটকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। টিগ্রে'র প্রশাসন মি. আবিই'র সংস্কার কার্যক্রমকে নেতিবাচকভাবে দেখে। তারা মনে করে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশি ক্ষমতা দিয়ে আঞ্চলিক রাজ্যগুলোর ক্ষমতা সীমিত করতে চান। এরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইস আফওয়ের্কির সাথে মি. আবিই'র 'নীতি বহির্ভূত' বন্ধুত্বরও সমালোচক তারা। ২০১৯ সালে এরিত্রিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়া মি. আবিই মনে করেন টিপিএলএফ তার কর্তৃত্বকে খর্ব করতে চায়। আমহারা অঞ্চলের মিশিশিয়া বাহিনী এরিত্রিয়া-ইথিওপিয়ার যুদ্ধ ইথিওপিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সাল থেকে মে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লড়াই করে এরিত্রিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ইটালির উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পরে ১৯৪৭ সালে এরিত্রিয়া স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ইথিওপিয়ার রাজা শাসন দাবি করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হস্তক্ষেপে এরিত্রিয়া ইথিওপিয়ার সঙ্গে প্রথমে একটি ফেডারেশন, পরবর্তীতে সাংবিধানিক স্টেট হিসাবে থাকে। তবে এরিত্রিয়া স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৯৬১ সালে ফেডারেশন বাতিল করে এরিত্রিয়াকে একীভূত করে নেয় ইথিওপিয়া। এরপর থেকেই এরিত্রিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বাধীনতার আন্দোলন চালাতে থাকে। সে সময় স্নায়ু যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ ইথিওপিয়া-এরিত্রিয়াকে সহায়তা করে। অবশেষে ১৯৯১ সালের মে মাসে ইথিওপিয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে এরিত্রিয়ার ইপিএলএফ মুক্তিযোদ্ধারা। একমাস পরেও ইপিএলএফ বাহিনীর সহায়তায় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট আদ্দিস আবাবার দখল নেয়ার করে নেয়। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে একটি গণভোট হয়, যেখানে এরিত্রিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়ে। সেই বছরেই এরিত্রিয়া স্বাধীন হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে দুই দেশের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। মাত্র দু বছর ধরে চলা সেই যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ২০০০ সালে দু দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হল��ও সীমান্তে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা রয়েই যায়।", "doc2": "L'armée dit qu'elle gagne du terrain dans la région nord du Tigré Le centre de la ville de Mekelle est frappé \"par des armes lourdes et de l'artillerie\", a déclaré le parti régional au pouvoir. L'armée éthiopienne est en conflit avec le Front de libération du peuple du Tigré (Tigray People's Liberation Front, TPLF) depuis des semaines. Elle dit espérer prendre le contrôle de la ville du TPLF dans les jours à venir, mais elle évitera de blesser ses 500 000 civils. Des centaines de personnes auraient été tuées, et des milliers ont été forcées de quitter leurs maisons alors que les forces éthiopiennes ont pris les villes. L'armée éthiopienne a déclaré précédemment qu'elle avait capturé la ville de Wikro, au nord de Mekelle, ainsi que plusieurs autres villes de la région. Les détails des combats sont difficiles à confirmer car toutes les communications téléphoniques, mobiles et Internet avec la région du Tigré ont été coupées. Quelles sont les dernières nouvelles de la capitale du Tigré ? Les combats ont déjà déplacé des dizaines de milliers de personnes vers le Soudan voisin Le leader du TPLF, Debretsion Gebremichael, a déclaré à Reuters dans un message que Mekelle subissait un \"bombardement lourd\", et a dit que les forces gouvernementales avaient commencé une opération pour la contrôler. Une autre communication du TPLF, relayée par l'AFP, a exhorté \"la communauté internationale à condamner les attaques d'artillerie et d'avions de guerre et les massacres qui sont commis\". Elle a également accusé le gouvernement érythréen d'être impliqué dans l'attaque de Mekelle. Des habitants ont déclaré aux agences d'aide et aux diplomates qu'il y avait eu des explosions dans le nord de la ville. Le gouvernement éthiopien n'a pas commenté ces derniers développements. Il a déclaré vendredi qu'il s'était avancé à moins de 20 km de la ville et qu'il entamait la \"phase finale\" de son offensive. Un porte-parole du Premier ministre Abiy Ahmed a déclaré que les forces éthiopiennes ne \"bombarderaient\" pas les zones civiles. Des centaines de personnes auraient été tuées et des milliers ont été déplacées dans les combats \"La sécurité des Ethiopiens dans la région du Tigray et la ville de Mekelle reste une priorité pour le gouvernement fédéral\", a ajouté Billene Seyoum. Lors d'une réunion vendredi, M. Abiy a déclaré aux envoyés de l'Union Africaine (UA) que les civils seraient protégés. Cependant, il n'a pas été fait mention d'éventuels pourparlers de paix et les envoyés n'ont pas été autorisés à se rendre au Tigré. Le TPLF, qui contrôle Mekelle, a juré de continuer à se battre. L'ONU avait prévenu de possibles crimes de guerre si l'armée éthiopienne attaquait Mekelle. Elle a également exprimé ses inquiétudes quant au manque d'accès pour les travailleurs humanitaires. Les autorités éthiopiennes ont déclaré jeudi qu'une \"voie d'accès humanitaire\" supervisée par le gouvernement serait ouverte, ajoutant qu'elles étaient \"déterminées à travailler avec les agences de l'ONU ... pour protéger les civils et ceux qui en ont besoin\". Jeudi, les troupes éthiopiennes ont été déployées le long de la frontière du Tigré avec le Soudan, empêchant les personnes fuyant la violence de quitter le pays, selon les réfugiés. Anne Soy de la BBC, du côté soudanais de la frontière, a vu au moins une douzaine de membres de l'armée éthiopienne, ce qui a conduit à une diminution marquée du nombre de personnes traversant la frontière soudanaise. Qui sont les combattants du TPLF ? La ville de Mekelle est la capitale de la région du Tigré Les combattants du TPLF, issus pour la plupart d'une unité paramilitaire et d'une milice locale bien rodée, seraient au nombre de 250 000 environ. Certains analystes craignent que la situation ne se transforme en un conflit de guérilla - le TPLF continuant à monter des attaques contre les forces gouvernementales même si elles prennent Mekelle. Le chef du TPLF, Debretsion Gebremichael, a déclaré que les forces du Tigré sont \"prêtes à mourir pour défendre notre droit à administrer notre région\". Reuters a cité une source diplomatique disant que le TPLF avait \"mobilisé beaucoup de gens à Mekelle\". La source a ajouté : \"Ils creusent des tranchées et tout le monde a un AK-47\". Les agences humanitaires craignent que le conflit ne déclenche une crise humanitaire grave et ne déstabilise la région de la Corne de l'Afrique. La Commission des droits de l'homme éthiopienne a accusé un groupe de jeunes Tigréens d'être derrière un massacre ce mois-ci, au cours duquel plus de 600 civils non Tigréens ont été tués dans la ville de Mai-Kadra. Le TPLF a nié toute implication. Quel est l'enjeu des combats ? Le conflit trouve son origine dans les tensions de longue date entre le gouvernement éthiopien et le TPLF, qui était la force politique dominante dans le pays jusqu'à ce que M. Abiy arrive au pouvoir en 2018 et introduise des réformes de grande envergure. Lorsque M. Abiy a reporté les élections en juin, les relations se sont encore détériorées. Le TPLF a déclaré que le mandat du gouvernement avait expiré. En septembre, le parti a organisé ses propres élections, que le gouvernement fédéral a jugées \"illégales\". Puis, le 4 novembre, M. Abiy a annoncé une opération contre le TPLF, l'accusant d'avoir attaqué le quartier général du commandement nord de l'armée à Mekelle."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54982870", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54988595", "doc1": "ক্রিস ক্রেবসকে ডোনাল্ড ট্রাম্পই নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে 'অত্যন্ত ভুল' মন্তব্য করার জন্য তিনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হারলেও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প এবং কোনরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে 'সবচেয়ে সুরক্ষিত' নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা। মি. ক্রেবস সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন, কারণ সিসা'র একটি ওয়েবসাইট ছিল রিউমার কন্ট্রোল বা গুজব নিয়ন্ত্রণ নামে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। তার বেশিরভাগ প্রভাব পড়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের ওপরেই। গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছিলেন সিসা'র সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউজ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে বরখাস্ত হলেও এ নিয়ে কোন আক্ষেপ দেখা যায়নি মি. ক্রেবসের বক্তব্যে। বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মি. ক্রেবস যে টুইট করেছেন, সেখানে বরং তিনি মি. ট্রাম্পের একটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন, যেখানে মি. ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, অনেকগুলো রাজ্যে তার ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দিয়েছে। মি. ক্রেবস টুইটারে বলছেন, ''নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, আমাদের জানা মতে কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়।'' যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির গুটিকয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি একজন, গত সপ্তাহে যারা ঘোষণা করেছেন যে, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমেরিকায় জো বাইডেনের জয়, য��সব সুবিধা পেতে পারে বলে বাংলাদেশ আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে জো বাইডেন জয়ী, কিন্তু এখন কী হবে? প্রেসিডেন্ট হবার পর সবার আগে যেসব পদক্ষেপ নেবেন জো বাইডেন আমেরিকায় জো বাইডেনের বিজয়: বাকি দুনিয়ার জন্য এর অর্থ কী সিসা'র ওয়েবসাইটে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''যদিও আমরা জানি যে, প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে, তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে, আপনাদেরও সেটা রাখা উচিত।'' যদিও এই বিবৃতিতে কোথাও মি. ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচনের একজন আইনি বিশেষজ্ঞের একটি টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ''দয়া করে এমন সব টুইট শেয়ার করবেন না যেখানে ভোটিং মেশিন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ রয়েছে, সেটা প্রেসিডেন্টের হলেও।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মুজিব ভাস্কর্য: 'আওয়ামী লীগের নিজের ঘরেই সাপ ঢুকেছে' মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে দরকার র‍্যাপিড টেস্ট: বিশেষজ্ঞ মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের নতুন সুযোগ: যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের?", "doc2": "Chris Krebs a été nommé à l'agence par Trump Le président Trump affirme avoir licencié le chef de l'Agence de cybersécurité et de sécurité des infrastructures (Cisa), Chris Krebs, pour ses remarques \"très inexactes\" sur l'intégrité du vote. Il refuse de concéder l'élection américaine, faisant des allégations non fondées de fraude électorale \"massive\". Les responsables électoraux soutiennent que le vote était le plus \"sûr\" de l'histoire des États-Unis. La semaine dernière, le président a renvoyé le secrétaire du ministère de la défense, Mark Esper, sur la base d'informations selon lesquelles il douterait de la loyauté du chef du Pentagone. D'après quelques spéculations, avant que M. Trump ne quitte ses fonctions en janvier, la directrice de la CIA Gina Haspel et le directeur du FBI Christopher Wray pourraient également être limogés. Comme beaucoup d'autres personnes licenciées par M. Trump, M. Krebs n'a appris qu'il est au chômage que lorsqu'il a vu le tweet du président mardi, a déclaré un de ses proches à l'agence de presse Reuters. Mais après son licenciement, l'ancien dirigeant de Microsoft ne semble avoir aucun regret. C'est un honneur de servir. Nous l'avons bien fait. Défendre aujourd'hui, sécuriser demain Il a dirigé l'agence depuis sa création, il y a deux ans, à la suite de l'ingérence présumée de la Russie dans les élections de 2016. Afin de se prémunir contre d'éventuelles cyber menaces, Cisa travaille avec les responsables électoraux nationaux et locaux et les entreprises privées qui fournissent les systèmes de vote, tout en surveillant le dépouillement des bulletins de vote et le réseau électrique. Pourquoi Krebs a-t-il été licencié ? Il aurait provoqué le mécontentement de la Maison Blanche à cause d'un site web de Cisa appelé Rumor Control, qui déballait des informations erronées sur les élections, en grande partie amplifiées par le président lui-même. Reuters rapporte que la Maison Blanche est particulièrement mécontente d'un post de Krebs qui a démystifié une théorie de conspiration concernant un super-ordinateur de l'agence de renseignement nommé Hammer and Scorecard, censé falsifier le décompte des votes nationaux. M. Krebs et d'autres anciens responsables américains soulignent qu'un tel système n'existe pas. Peu avant d'être licencié, il a posté un tweet qui semblait viser l'allégation de M. Trump selon laquelle les machines de vote de divers États avaient échangé ses bulletins de vote contre ceux de son rival Joe Biden. Voici le tweet : \"ICYMI : sur les allégations de manipulation des systèmes électoraux, 59 experts en sécurité électorale sont d'accord, \"dans tous les cas dont nous avons connaissance, ces affirmations sont soit non fondées, soit techniquement incohérentes\". #Protect2020\". Il faisait partie des hauts fonctionnaires du ministère de la sécurité intérieure qui, la semaine dernière, ont déclaré que les élections générales du 3 novembre aux États-Unis étaient \"les plus sûres de l'histoire américaine\", tout en rejetant les \"affirmations non fondées\". Bien que cette déclaration ne nomme pas M. Trump, le jour même où elle a été publiée, M. Krebs a retweeté un expert en droit électoral disant \"S'il vous plaît, ne retweetez pas des affirmations sans fondement sur les machines de vote, même si elles sont faites par le président\". Election présidentielle américaine 2020 : qui est en tête des sondages- Trump ou Biden ? \"Krebs paie sa franchise par son travail\" - Analyse de James Clayton, journaliste tech d'Amérique du Nord En tant que directeur de la Cisa, la voix de M. Krebs pesait beaucoup. Son analyse des accusations de fraude électorale massive est simple à résumer : il n'y a aucune preuve de fraude électorale massive. Il savait que ses paroles déplairaient au président Trump. Jeudi dernier, il a dit à ses associés qu'il s'attendait à être licencié, et il avait raison. Il a été mis dans une position impossible. M. Trump soutient que ses déclarations étaient inexactes en raison des \"irrégularités et des fraudes massives\" commises pendant l'élection. Mais M. Krebs n'a pas confirmé cela. Peut-être que le président produira une foule de documents pour étayer ses déclarations, mais il n'a pas encore eu de preuve de cela non plus. M. Krebs a donc été mis dans une position où personne ne veut être - apaiser Donald Trump et dire ce qu'il veut entendre - ou risquer sa carrière en disant des choses qui vont à l'encontre de son chef. Il a choisi cette dernière solution, et l'a payée par son travail. Quelles sont les dernières nouvelles des contestations judiciaires de M. Trump ? M. Trump et ses alliés ont intenté une multitude de procès dans les États clés pour contester les résultats, bien que les responsables des élections affirment qu'aucune preuve d'irrégularités généralisées n'a été trouvée. Le temps presse. Tous les litiges électoraux en suspens à l'échelle nationale doivent être résolus d'ici le 8 décembre. Les résultats officiels devraient être confirmés lors de la réunion du collège électoral américain le 14 décembre. Mardi, les membres républicains d'un comité électoral bipartite du Michigan ont refusé de certifier la victoire annoncée de M. Biden dans cet État, pour ensuite faire marche arrière après un tollé. Les deux républicains du comité de quatre membres s'étaient opposés à des irrégularités de vote mineures dans le comté de Wayne, où se trouve Detroit. Mais ils ont cédé après que les démocrates les aient accusés d'essayer de priver les électeurs de leur droit de vote dans la ville majoritairement noire. En guise de compromis, le conseil a adopté une résolution demandant au secrétaire d'État démocrate du Michigan de procéder à un audit des juridictions concernées. Quelle est la réaction ? Le licenciement de M. Krebs par le président républicain a provoqué la condamnation de la commission de la sécurité intérieure de la Chambre des représentants, contrôlée par les démocrates. Ses dirigeants déclarent que la décision de M. Trump \"rend l'Amérique moins sûre\" et ne contribuent pas à défendre le pays contre \"les cyber-campagnes malveillantes de la Russie, de la Chine et de l'Iran\". \"Le fait est que, depuis le jour du scrutin, le président Trump cherche à délégitimer les résultats des élections en s'engageant dans une campagne de désinformation qui pourrait briser la confiance du public dans nos élections depuis des générations\", soutiennent les membres de la commission. Le président démocrate de la commission des renseignements de la Chambre des représentants, Adam Schiff, indique: \"Il est pathétique, mais malheureusement prévisible, que le maintien et la protection de nos processus démocratiques soient une cause de licenciement\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56861849", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56115564", "doc1": "ভারতে এখন সংক্রমণের এক ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে তবে এটা এ���নও জানা যায়নি যে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভারতে এখন সংক্রমণের যে ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে তার জন্য নতুন শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি কতটা দায়ী। ভারত ভ্যারিয়েন্ট ঠিক কী? যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন ঘটাতে করতে থাকে অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন সৃষ্ট অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়। কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে - যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট - যেটার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ - প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে। কতটা ছড়িয়েছে এটি? কত দ্রুত এবং কতদূর নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি ভারতে ছড়িয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ধারণা পেতে যে মাত্রায় নমুনা পরীক্ষা করতে হয় তা এখনও ভারতে সম্ভব নয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৬১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২০টির মধ্যে নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। আরও পড়তে পারেন : যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতের সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে ভারতের হাসপাতালে ২২ রোগীর মৃত্যু করোনা ভাইরাস টিকা: ঘাটতি মেটাতে জোর চেষ্টা বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস : দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় ভারতের বিশ্বরেকর্ড ভারতে কোভিড পরীক্ষা করছেন এক নারী। শুক্রবারও নতুন তিন লাখেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে ওদিকে, সংক্রামক রোগের তথ্য সংগ্রহ এবং আদান-প্রদানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা জিআইসএইড-এর ডাটাবেজ অনুসারে, এরই মধ্যে কমপক্ষে ২১টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে। যাতায়াতের কারণে ব্রিটেনেও করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি পাওয়া গেছে। ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১০৩ জন কোভিড রোগীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে, ভারত থেকে ব্রিটেনে ভ্রমণ প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এখন করোনাভাইরাসের যে সব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা করছে সেই তালিকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে ঢোকানো হয়েছে। তবে এখনও তারা বলেনি যে এই ভ্যারিয়েন্টটি ���িয়ে “বিশেষ উদ্বেগের“ কারণ হয়েছে। ভারত ভ্যারিয়েন্ট কি অধিকতর সংক্রামক বা বিপজ্জনক? বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি যে ভারতে প্রথম শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি অন্যগুলোর তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ ঘটায় কিনা, বা এটির বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর কিনা। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ভাইরোলজিস্ট ড জেরেমি কামিল বলেন ভারত ভ্যারিয়েণ্টে শনাক্ত একটি মিউটেশনের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত মিউটেশনের মিল রয়েছে। এই মিউটেশনটি দেহে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় তৈরি অ্যান্টিবডিকে পাশ কাটিয়ে যেতে ভাইরাসকে সাহায্য করতে পারে। সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিন নিয়ে আগের বিভিন্ন পরীক্ষায় এটি দেখা গেছে। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, বর্তমানে ব্রিটেনে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ কাজ করছে। ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টটি এখন ৫০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে কোভিড পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন ড. কামিল বলেন, \"ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ব্রিটিশ ভ্যারিয়েণ্টের চেয়ে অধিকতর সংক্রামক কিনা - তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। সুতরাং এখনই এটি নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।“ কেন ভারত ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তথ্য খুবই কম? বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই অসম্পূর্ণ। বিজ্ঞানীদের হাতে নমুনার সংখ্যাও খুব কম। ভারতে এই নমুনার সংখ্যা মাত্র ২৯৮, আর সারা বিশ্বে ৬৫৬। সেই তুলনায় ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টের পূর্ণাঙ্গ নমুনার সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮৪,০০০। ভারতের এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সারা পৃথিবীতে তা পাওয়া গেছে চারশোরও কম, বলছেন ড. কামিল। ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ কি এটি ? ভারতে ১৫ই এপ্রিল থেকে প্রতিদিন নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখের ওপর। গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত) নতুন সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৩১৫,০০০। অথচ গত বছর প্রথম দফা সংক্রমণের সময় দিনে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ৯৩,০০০। শুধু সংক্রমণই নয়, মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। কলকাতায় রাস্তায় মাস্ক মুখে একজন পধচারী “ভারতের উচ্চ জনসংখ্যা এবং ঘনবসতি মিউটেশনের জন্য এই ভাইরাসকে আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, “ বলছেন কেম��্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক রবি গুপ্তা। তবে, ভারতে এখন যে উঁচু মাত্রায় সংক্রমণ দেখা যাচেছ - তার পেছনে বিশাল গণ-জমায়েত এবং সেই সাথে মাস্ক-না-পরা এবং সামাজিক দূরত্ব অগ্রাহ্য করার মত আচরণও কাজ করতে পারে। কেন ভারতে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ এত বিধ্বংসী ওয়েলকাম স্যাংগের ইন্সটিটিউটের ড. জেফরি ব্যারেট বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সাথে ভারতের বর্তমান এই ভয়াবহ পরিস্থিতির যোগসূত্র থাকতে পারে, কিন্তু তা নিয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখনও নেই। তিনি বলেন, ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্টটি গত বছরের শেষ দিক থেকেই সেদেশে রয়েছে। “যদি সত্যিই ঐ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বর্তমানের এই উঁচু সংক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে সেটি কাজ করতে কয়েক মাস সময় নিয়েছে। তার অর্থ এটির চেয়ে কেন্ট বি ১১৭ ভ্যারিয়েন্টটি (ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট) অনেক বেশি সংক্রামক।“ টিকা কি কাজ করবে? বিজ্ঞানীরা মনে করছে,ন বর্তমানে করোনাভাইরাসের যেসব টিকা রয়েছে তা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের চরম অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করবে। তবে নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত অধ্যাপক গুপ্তা এবং তার সহযোগীদের করা একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে, এখন যেসব টিকা রয়েছে করোনাভাইরাসের কিছু ভ্যারিয়েন্ট সেগুলোতে মরবে না। ফলে, নতুন ধরণের ভ্যাকসিন আনতে হবে এবং বর্তমানের টিকাগুলোকে অদল-বদল করতে হবে। তবে, যেসব টিকা এখন তৈরি হয়েছে সেগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বা বিপদ কমাতে সক্ষম। ড কামিল বলেন, “সিংহভাগ মানুষের ক্ষেত্রে যেটা সত্য তা হলো, ভ্যাকসিন নেওয়া বা না নেওয়ার ওপর নির্ভর করবে - তারা সংক্রমণ মুক্ত বা বড়জোর স্বল্পমাত্রায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবেন, নাকি প্রাণ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে যাবেন।“ তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ পেলে দয়া করে তা লুফে নিন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। শতভাগ অব্যর্থ কোনো ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকার মত ভুল করবেন না।“ বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশে পুরুষদের চাইতে নারীদের গড় আয়ু বেশি কেন লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জন গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯ কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন", "doc2": "Cependant, on ne sait pas encore jusqu'où il s'est propagé ni s'il est à l'origine de la deuxième vague mortelle de Covid en Inde même. Que sait-on de ce variant indien ? Les virus mutent en permanence, produisant différentes versions ou variantes d'eux-mêmes. La plupart de ces mutations sont insignifiantes - et certaines peuvent même rendre le virus moins dangereux - mais d'autres peuvent le rendre plus contagieux et plus difficile à vacciner. Ce variant - officiellement connu sous le nom de B.1.617 - a été détecté pour la première fois en Inde en octobre. Jusqu'où s'est-il répandu ? L'analyse des échantillons n'est pas suffisamment répandue dans toute l'Inde pour déterminer l'ampleur ou la rapidité de la propagation de la variante. Elle a été détectée dans 220 des 361 échantillons Covid prélevés entre janvier et mars dans l'État du Maharashtra, dans l'ouest de l'Inde. Entre-temps, elle a été repérée dans au moins 21 pays, selon la base de données mondiale GISAID. Les voyages internationaux semblent avoir apporté la variante au Royaume-Uni, où 103 cas ont été identifiés depuis le 22 février. La plupart des voyageurs en provenance d'Inde sont désormais interdits de séjour au Royaume-Uni. Public Health England a classé la variante indienne parmi les \"variants en cours d'investigation\", mais ne la considère pas encore comme suffisamment grave pour être classée comme \"variant préoccupant\". Les populations font la queue pour le test Covid à Jammu, au Cachemire. Est-il plus infectieux ou plus dangereux ? Les scientifiques ne savent pas encore si ce variant est plus infectieux ou résistant aux vaccins. Le Dr Jeremy Kamil, virologue à l'université d'État de Louisiane, indique que l'une de ses mutations est similaire à celles observées dans les variantes identifiées en Afrique du Sud et au Brésil. Et cette mutation pourrait aider le virus à échapper aux anticorps du système immunitaire qui peuvent combattre le coronavirus grâce à l'expérience d'une infection antérieure ou d'un vaccin. Mais ce qui semble plus inquiétant pour l'instant, c'est un variant identifié au Royaume-Uni, qui est dominant dans ce pays et s'est propagé dans plus de 50 pays. \"Je doute que le variant indien soit plus infectieux que le variant britannique - et nous ne devons pas paniquer\", déclare le Dr Kamil. Pourquoi en sait-on si peu à son sujet ? Selon les scientifiques, la plupart des données relatives au variant indien sont incomplètes, car très peu d'échantillons sont partagés - 298 en Inde et 656 dans le monde, contre plus de 384 000 séquences pour le variant britannique. Et après les premiers cas enregistrés en Inde, moins de 400 cas du variant ont été détectés dans le monde, selon le Dr Kamil. Est-il le moteur de la deuxième vague en Inde ? L'Inde signale environ 200 000 cas de Covid par jour depuis le 15 avril, soit bien plus que le pic de 93 000 cas par jour atteint l'année dernière. Le nombre de décès a également augmenté. \"La forte population et la densité de l'Inde sont un incubateur parfait pour que ce virus expérimente des mutations\", explique Ravi Gupta, professeur de microbiologie clinique à l'université de Cambridge. Toutefois, la vague de cas en Inde pourrait avoir été causée par de grands rassemblements, et l'absence de mesures préventives telles que le port de masques ou la distanciation sociale. Le Dr Jeffrey Barrett, du Wellcome Sanger Institute, estime qu'il est possible qu'il y ait également une relation de cause à effet avec le nouveau variant, mais les preuves manquent encore. Il souligne que le variant indien existe depuis la fin de l'année dernière : \"S'il est à l'origine de la vague en Inde, il lui a fallu plusieurs mois pour en arriver là, ce qui laisse penser qu'il est probablement moins transmissible que le variant Kent B117.\" Les vaccins seront-ils encore efficaces ? Les scientifiques pensent que les vaccins existants permettront de contrôler le variant lorsqu'il s'agira de prévenir une maladie grave. Certains variants échapperont inévitablement aux vaccins actuels, selon un article publié dans Nature par le professeur Gupta et ses collègues chercheurs. Par conséquent, il faudra modifier la conception des vaccins pour les rendre plus efficaces. Toutefois, les vaccins actuellement disponibles sont encore susceptibles de ralentir la propagation de la maladie. \"Pour la plupart des gens, ces vaccins peuvent faire la différence entre une maladie minime ou nulle et un séjour à l'hôpital avec un risque de décès\", déclare le Dr Kamil. \"Prenez le premier vaccin qui vous est proposé. Ne faites pas l'erreur d'hésiter et d'attendre un vaccin idéal.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55661421", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55631228", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অসদ��চরণের অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মত অভিশংসন প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে বলে বারবার ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার পর গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হিলে যে তাণ্ডব হয়েছে, তাতে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে তিনিই উস্কানি দিয়েছিলেন এই অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। ঐ দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন। বুধবার হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার পর মি. ট্রাম্পকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন, সেনেটররা তাকে ভবিষ্যতে কোনরকম রাজনৈতিক পদ গ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারেও ভোট দিতে পারবেন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ হাউস অফ রেপ্রেজেনটিটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে বুধবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে ভোট পড়ে। ছয়ই জানুয়ারি ক্যাপটল হিলের দাঙ্গার ব্যাপারে \"বিদ্রোহে ইন্ধন\" জোগানোর জন্য প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এই সহিংসতার পেছনে তার কোন ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। ভোটাভুটির পর এক ভিডিও প্রকাশ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ঐ ভিডিওতে তিনি তার অভিশংসন সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। আমেরিকায় ক্যাপিটল ভবনের ভেতর তাণ্ডব ও বিশৃঙ্খলার আরও বিস্তারিত প্রকাশ পাচ্ছে এরপর কী হতে যাচ্ছে? মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিচার প্রক্রিয়া চালাবেন। সেনেটে রিপাবলিকান পার্টির নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন প্রেসিডেন্টের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য যেসব \"নিয়মবিধি ও পদ্ধতি রয়েছে এবং সেনেটের আগের বিচারগুলোর নজির বিবেচনায় নিলে\" এই বিচারের ফলাফল \"ন্যায্য বা যথাযথ\" হবার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। মি. ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। এর অর্থ হল ১০০ আসনের উচ্চ কক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানকে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোট দিতে হবে। বিশজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিচারের পক্ষে খোলাখুলি তাদের মত দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। সহকর্মীদের লেখা এক নোটে মি. ম্যাককনেল বলেছেন তিনি কোন্ পক্ষে ভোট দেবেন সে ব্যাপারে তিনি এখন�� চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। মি.ট্রাম্প দোষী প্রমাণিত হলে, সেনেটররা আরেকটি ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তাকে পুনর্বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা। মি. ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০২৪ এর নির্বাচনে আবার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা তিনি করছেন। মি. ট্রাম্পকে ২০১৯ সালে হাউস প্রথমবার অভিশংসিত করেছিল ইউক্রেনকে আমেরিকার রাজনীতিতে মাথা গলানোর অনুরোধ জানানোর অভিযোগে। কিন্তু সেনেট সেসময় তাকে বিচারে অব্যাহতি দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী প্রমাণিত হলে আমেরিকায় ১৯৫৮ সালে প্রণীত সাবেক প্রেসিডেন্ট সম্পর্কিত ধারা অনুযায়ী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন, যেমন জনগণের অর্থে অবসর ভাতা, স্বাস্থ্য বীমা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ সেসবও তিনি হারাবেন। আরও পড়তে পারেন: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যেই এক দফা অভিশংসন প্রক্রিয়া পার হয়ে এসেছেন। আমেরিকার রাজনীতিতে ইউক্রেনকে নাক গলাতে তিনি উৎসাহ দিয়েছিলেন এই অভিযোগে তাকে অভিশংসিত করার প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছিল। অভিশংসন: এক নজরে অভিশংসন কখন হতে পারে?- যখন ক্ষমতাসীন অবস্থায় কোন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ওঠে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটলে হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের উৎসাহিত করে বিদ্রোহে উস্কানি দেবার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ক্ষমতা থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া - হাউস অফ রেপ্রেজেনটিটিভ ইতোমধ্যেই মি. ট্রাম্পকে অভিশংসিত করেছে। এখন তার বিচার হবে সেনেটে। কিন্তু মি. ট্রাম্প ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবার আগে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। চূড়ান্ত পদক্ষেপ কী হতে পারে? মি. ট্রাম্প যদি সেনেটে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আইনপ্রণেতারা চাইলে আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত করতে পারেন যা তাকে ২০২৪ সালে আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথকে বন্ধ করে দেবে। অভিশংসনের জটিলতা বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্থনি যুরকার বলছেন এক বছর আগে মি. ট্রাম্পকে যখন প্রথমবার অভিশংসিত করা হয়েছিল, তখন রিপাবলিকান পার্টি এই পদক্ষেপে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু এবারে রক্ষণশীলরা মুষ্টিমেয় সংখ্যায় হলেও এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। যেটা এবারের অভিযোগের গুরুত্বের মাত্রা সম্পর্কে একটা ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও ম���. যুরকার বলছেন অভিশংসনের পক্ষে কিছু রিপাবলিকানের সমর্থন দেয়াকে মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে মি. ট্রাম্পের প্রভাব কিছুটা কমার একটা প্রতিফলন হিসাবেও দেখা হচ্ছে। তবে জো বাইডেনের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই সেনেটে অভিশংসন প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়া একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তিনি ক্ষমতার প্রথম একশ'দিনে মন দিতে চান, সেখানে অভিশংসনের জটিল প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকা তার সূচনা লগ্নকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। এছাড়াও আমেরিকায় একটা ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে দিয়েছিলেন, এই অভিশংসন প্রক্রিয়া আমেরিকানদের মধ্যে সেই বিভক্তির আগুন আরও জাগিয়ে তুলতে পারে এমন আশংকাও রয়েছে বলে বলছেন অ্যান্থনি যুরকার। ওভাল অফিসে ক্ষমতার শেষ কয়েকদিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেও ক্যাপিটলের এই তাণ্ডবের পরে একটা বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। দলের একটা অংশ এখনও মি. ট্রাম্পের রাজনীতির স্টাইলের প্রতি অনুগত। তার এই স্টাইল ২০১৬ সালে ভোটারদের এক অংশের মধ্যে দারুণ উদ্দীপনা তৈরি করেছিল এবং রিপাবলিকানদের ক্ষমতায় যাবার পথ সুগম করেছিল। আবার তার এই রাজনীতির স্টাইলই ২০২০ সালে রিপাবলিকানদের ভরাডুবি ডেকে এনেছে। তার নজিরবিহীন কথাবার্তার ধরন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় প্ররোচিত করেছে তার সমর্থকদের । কাজেই মি. যুরকার বলছেন, রিপাবলিকানরা মি. ট্রাম্পের পেছনে কতটা সংহতির পথে হাঁটবে সেটা এই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। তবে ২০২৪ সালে মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন এর বাস্তব সম্ভাবনা খুবই বেশি। সামাজিক মাধ্যমে তার কণ্ঠরোধ করা হলেও, এবং ক্যাপিটলের তাণ্ডবের পরেও বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে দলের এক অংশের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা কিছুটা ধাক্কা খেলেও, তার প্রতি রিপাবরিকানদের সমর্থনের দেয়াল একেবারে ভেঙে পড়েনি। তবে মি.যুরকার বলছেন, দলের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যারা তারা মি. ট্রাম্পের এই কোণঠাসা অবস্থার সুযোগ নিয়ে রিপাবলিকান রাজনীতি থেকে তাকে সরাতে শেষ ধাক্কাটা দেবেন কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর অভিশংসন প্রক্��িয়ার মাধ্যমে মি. ট্রাম্পকে দোষী প্রমাণ করতে সেনেট যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে মি. ট্রাম্পকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থেকে চিরতরে দূরে রাখার সুযোগও ডেমোক্র্যাটরা হারাবেন।", "doc2": "Plus de détails sur les scènes chaotiques à l'intérieur du Capitole américain Donald Trump, un républicain, doit quitter son poste dans quelques jours, le 20 janvier, date à laquelle le démocrate Joe Biden prêtera serment. Mais les démocrates, dont la présidente de la Chambre des représentants, Nancy Pelosi, veulent que M. Trump soit tenu responsable des actes qui, selon beaucoup, ont provoqué l'émeute du 6 janvier. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Bien qu'il soit peut-être trop tard pour le démettre de ses fonctions avant la fin de son mandat, ils tiennent néanmoins à le sanctionner, ce qui pourrait le priver des avantages accordés aux anciens présidents et l'interdire pour toute fonction future. Il existe des moyens pour le président de recevoir des ordres, bien qu'ils soient peu probables. Examinons-les. Le 25ème amendement La présidente du Congrès, Nancy Pelosi (à droite), a demandé au vice-président Mike Pence (à gauche) de destituer le président pour \"incitation à l'insurrection\". Les responsables démocrates du Congrès - la présidente Pelosi et le leader démocrate du Sénat Chuck Schumer - ont demandé au vice-président Mike Pence et au cabinet de M. Trump de destituer le président pour \"son incitation à l'insurrection\". Melle Pelosi cherche à obtenir une résolution de la Chambre demandant à M. Pence d'invoquer le 25ème amendement, avec un premier vote prévu lundi. Le 25e amendement permet au vice-président de devenir président par intérim lorsqu'un président est dans l'incapacité de poursuivre ses fonctions, par exemple s'il devient invalide en raison d'une maladie physique ou mentale. M. Pence disposerait de 24 heures à compter de l'adoption de la résolution, prévue pour mardi, pour invoquer l'amendement avant que l'Assemblée ne se tourne vers la mise en accusation comme moyen de destituer M. Trump. Lire encore : La partie de l'amendement en cours de discussion est la section quatre, qui permet au vice-président et à la majorité du cabinet de déclarer le président Trump incapable d'exercer ses fonctions. Ils devraient signer une lettre adressée au président de la Chambre et au président du Sénat déclarant le président inapte à gouverner, ou incapable \"d'exercer les pouvoirs et les devoirs de sa charge\". À ce stade, M. Pence prendrait automatiquement le relais. Le président a la possibilité de présenter une réponse écrite, et s'il conteste cette décision, il appartient alors au Congrès de trancher. Tout vote au Sénat et à la Chambre des représentants ordonnant la révocation du président requiert une majorité des deux tiers. Tant que la question n'est pas résolue, le vice-président fait office de président. Cependant, rien n'indique que M. Pence, plus au moins huit membres du cabinet, soutiennent l'idée d'invoquer l'amendement et il semblerait qu'il soit opposé à cette proposition. Destitution Le président Trump a déjà subi une procédure de destitution suite aux allégations selon lesquelles il aurait demandé à l'Ukraine de se mêler de la politique américaine Si le vice-président n'agit pas, Mlle Pelosi a indiqué qu'elle convoquerait l'Assemblée pour lancer une deuxième procédure de destitution contre M. Trump. Le président a déjà été mis en examen pour des allégations selon lesquelles il aurait demandé l'aide de l'Ukraine pour augmenter ses chances de réélection. Le Sénat l'a acquitté de ces accusations. M. Trump pourrait devenir le premier président de l'histoire à subir deux fois une procédure de destitution. Pour cela, la mise en examen (les accusations) doit être présentée à la Chambre et faire l'objet d'un vote. L'affaire est ensuite transmise au Sénat, où un vote aux deux tiers est nécessaire pour la destitution d'un président. S'il est reconnu coupable, le Sénat peut également voter pour interdire à M. Trump d'exercer à nouveau une fonction publique. Il perdrait également les avantages accordés à ses prédécesseurs en vertu de la loi de 1958 sur les anciens présidents, qui comprennent une pension, une assurance maladie et un dispositif de sécurité aux frais des contribuables. M. Trump pourrait devenir le premier président de l'histoire à être mis en examen à deux reprises Cette étape n'a jamais été atteinte dans l'histoire des États-Unis et rien n'indique que les démocrates obtiendraient ces chiffres au Sénat, où ils ne détiennent que la moitié des sièges. Selon une note d'un assistant du leader républicain du Sénat Mitch McConnell, le plus tôt que la Chambre haute pourrait prendre des mesures de destitution de la Chambre serait le 19 janvier, la veille de l'expiration du mandat de M. Trump. Selon le document, les règles du Sénat signifient que la chambre ne pourrait donc pas commencer un procès de M. Trump avant une heure après qu'il ait quitté ses fonctions, ou un jour plus tard. Mais les démocrates de la Chambre des représentants ont déclaré que le parti ne peut pas envoyer d'articles de mise en examen au Sénat avant les 100 premiers jours de mandat de M. Biden. Cela permettrait à M. Biden de confirmer son nouveau cabinet et de donner le coup d'envoi à des politiques clés, notamment la lutte contre le coronavirus - ce qui devrait attendre si le Sénat avait déjà reçu les articles de mise en examen. Les experts constitutionnels sont divisés sur la question de savoir si la mise en examen peut se faire dans le cadre d'un procès au Sénat après que le président a quitté ses fonctions. Trump peut-il se gracier lui-même ? Les observateurs politiques ont déclaré que M. Trump envisage de se gracier lui-même dans ses derniers jours de présidence Les médias, citant des sources anonymes, affirment que M. Trump a suggéré à ses collaborateurs qu'il envisage de s'accorder une grâce dans les derniers jours de sa présidence. Le président fait déjà l'objet de nombreuses enquêtes, notamment dans l'État de New York, afin de déterminer s'il a induit en erreur les autorités fiscales, les banques ou ses partenaires commerciaux. Le président pourrait-il donc se gracier lui-même ? La réponse courte est que nous ne le savons pas, étant donné la formulation courte mais l'application large de la constitution, et le fait qu'il n'y a pas de précédent pour un dirigeant américain accordant une telle grâce. Certains experts juridiques ont déjà dit non, citant un avis émis par le ministère de la justice quelques jours avant la démission de Richard Nixon, selon lequel il ne pourrait pas se gracier lui-même \"en vertu de la règle fondamentale selon laquelle nul ne peut être juge dans son propre cas\". D'autres, en revanche, affirment que la Constitution n'interdit pas l'auto-pardon. Quelle est la probabilité de tout cela ? M. Trump entre dans ses derniers jours dans le bureau ovale Bien qu'il soit possible qu'une faible majorité vote pour la destitution à la Chambre - comme ce fut le cas en décembre 2019 - il est très improbable que les deux tiers requis du Sénat votent pour la destitution du président. Un petit nombre de sénateurs républicains ont réclamé le départ de M. Trump et ont déclaré qu'ils envisageraient des articles de mise en accusation, mais aucun n'a dit explicitement qu'ils le condamneraient pour des actes répréhensibles. Quant à l'invocation du 25e amendement, elle semble également de plus en plus improbable. Bien qu'il y ait eu des rapports selon lesquels il a été discuté à un haut niveau, deux membres du cabinet opposés aux actions de M. Trump ont maintenant démissionné, et ceux qui restent ne se rallieront probablement pas à une démarche visant à le destituer."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52022275", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-52021581", "doc1": "টোকিওতে অলিম্পিক গেমস শুরু হবার কথা ছিল ২৪শ জুলাই। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে। “আমি এই গেমস এক বছর পিছিয়ে দেবার প্রস্তাব করেছিলাম এবং আইওসি-র প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ এতে তাঁর ১০০ ভাগ সম্মতি আছে বলে জানিয়েছেন,” বলেন মি. আবে। এই এক বছরের স্থগিতাদেশ টোকিও প্যারালিম্পিক গেমসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী আবে আরও বলেন, “এর ফলে অ্যাথলেটরা আরও ভাল পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। এছাড়া দর্শকদের জন্যও এই গেমসের আয়োজন আরও নিরাপদ হবে\"। ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আজ এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠকে বসার কথা ছিল। ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিউ রবার্টসন ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তারা টোকিওতে ব্রিটিশ অ্যাথলেটদের পাঠাতে চায় না। বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্যাপস্টিক জানাচ্ছেন \"অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম কোন অলিম্পিক গেমস স্থগিত করা হলো। যুদ্ধের সময় অলিম্পিক বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু কখনই স্থগিত করা হয়নি\"। \"এই মুহূর্তে তারা বলছে, তারা ২০২১-এর গ্রীষ্মে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তাদের জন্য এটা হবে বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ। এত বড় মাপের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন স্থগিত করা সহজ কোন বিষয় নয়,\" বলছেন বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার করোনাভাইরাস : আপনার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশে আরো একজনের মৃত্যু, আরো ছয়জন আক্রান্ত চীনের উহান শহরে লকডাউন উঠে যাচ্ছে ৮ই এপ্রিল ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে জটিলতা", "doc2": "Le Comité international olympique (CIO) a accepté de reporter les Jeux olympiques d'un an sur proposition du Japon a annoncé mardi le Premier ministre japonais Shinzo Abe. \"J'ai proposé de les reporter d'environ un an et le président du Comité international olympique (Thomas) Bach a accepté à 100%\", a déclaré M. Abe devant les caméras de télévision. Le Premier ministre a fait cette déclaration à l'issue d'une conférence téléphonique avec M. Bach. S'il est officiellement approuvé par le CIO, ce report sera une première pour des JO de l'ère moderne en temps de paix. Auparavant seuls les deux conflits mondiaux du 20ème siècle avaient entraîné le report technique puis l'annulation d'olympiades. C'est un énorme coup dur pour la ville de Tokyo et le Japon, qui se préparaient minutieusement depuis des années à accueillir le plus grand évènement sportif de la planète du 24 juillet au 9 août, suivis des Paralympiques du 25 août au 6 septembre. Les autorités japonaises et le CIO ont été longtemps réticents à envisager officiellement de modifier le calendrier des JO. Mais la pression d'athlètes, puis de fédérations sportives nationales et internationales, devenait de jour en jour plus forte avec la propagation inexorable du coronavirus. Le virus apparu en Chine fin 2019 et qui sévit désormais massivement ailleurs dans le monde, notamment en Europe a fait au moins 16.961 morts pour plus de 386.350 cas d'infection diagnostiqués dans 175 pays et territoires. Coronavirus et ibuprofène: séparer la réalité de la fiction L'Afrique face au défi du coronavirus Des volontaires américains testent un vaccin contre le coronavirus Coronavirus: comment se protéger"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56990533", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57010131", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প: নিজস্ব একিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে চান। বলা হচ্ছে ,এই 'কমিউনিকেশন' ওয়েবসাইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেস্ক থেকে সরাসরি বিষয়বস্তু প্রকাশিত হবে। গত জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের দাঙ্গার পর তাকে টুইটার তাকে নিষিদ্ধ করেছে। টুইটারে মি. ট্রাম্পের প্রায় নয় কোটি অনুসারী ছিল। এছাড়া ফেসবুক এবং ইউটিউব মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। তখন থেকে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তার বক্তব্য ���িয়ে যাচ্ছেন। এখন নতুন ওয়েবসাইটে তার এসব বক্তব্য প্রকাশিত হবে। ব্যবহারকারীরা এখানে পোস্টগুলোতে লাইক দিতে পারবে এবং এগুলো টুইটার এবং ফেসবুকে শেয়ার করতে পারবে। নতুন এই ওয়েবসাইট প্রকাশের ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে কি না সে বিষয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আর একদিন পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ওয়েবসাইট মি. ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা জেসন মিলার এর আগে বলেছিলেন, একটি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া চালু করা হবে। গত মার্চ মাসে মি. মিলার বলেন, মি. ট্রাম্পের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া হবে অনেক বড় মাপের। কিন্তু মঙ্গলবার মি. মিলার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি আগে যে ধারণা দিয়েছিলেন, নতুন এই ওয়েবসাইট সে ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নয়। \"এ সংক্রান্ত আরো তথ্য নিকট ভবিষ্যতে আসবে,\" বলেন মি. মিলার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ব্র্যাড পার্সক্যাল-এর ডিজিটাল সার্ভিসেস কোম্পানি এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। এদিকে ফেসবুকে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যদি ফেসবুকে ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হয় তাহলে তার অ্যাকাউন্ট সচল হতে সাতদিন সময় লাগবে। অন্যদিকে ইউটিউব জানিয়েছে, বাস্তবে যখন সহিংসতার আশঙ্কা কমে আসবে তখন মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সচল করা হবে।", "doc2": "M. Trump a été banni par Twitter et suspendu par Facebook et YouTube après les émeutes du Capitole en janvier. Depuis, l'ancien président publie des déclarations par communiqué de presse - que le nouveau site web accueillera désormais. Les utilisateurs pourront aimer les messages et les partager sur leurs comptes Twitter et Facebook. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Capture d'écran du nouveau site web \"C'est un blog\", a déclaré Kara Swisher, chroniqueuse technologique au New York Times, à l'émission Today de la BBC Radio 4. \"Je ne sais pas quel est le plan global, car il a des conseillers numériques très pointus. Ce n'est que le début de ses tentatives pour essayer de rétablir une capacité plus forte à participer aux médias numériques.\" Lire aussi : Le conseiller principal de M. Trump, Jason Miller, avait précédemment déclaré qu'une nouvelle plateforme de réseaux sociaux allait être lancée. \"Cette nouvelle plateforme va être importante\", avait-il déclaré en mars. Capture d'écran du nouveau site web Mais M. Miller a indiqué sur Twitter mardi que le nouveau site web n'était pas la plateforme de réseaux sociaux dont il avait précédemment fait l'éloge. \"Nous aurons des informations supplémentaires à ce sujet dans un avenir très proche\", a-t-il déclaré. Le site Web serait construit par Campaign Nucleus, une entreprise de services numériques créée par l'ancien directeur de campagne de M. Trump, Brad Parscale. Plusieurs messages sur le site répètent à nouveau les affirmations selon lesquelles l'élection présidentielle de l'année dernière aurait été truquée. Le nouveau site est arrivé juste avant que le comité de surveillance de Facebook ne prenne une décision sur le bien-fondé de l'interdiction de M. Trump. Le comité a confirmé l'interdiction, mais a déclaré que Facebook devait examiner si elle devait être permanente et appliquer des règles cohérentes à tous les utilisateurs. Cela pourrait laisser la porte ouverte à un retour de M. Trump sur Facebook et Instagram à l'avenir. L'ancien président a utilisé son nouveau site pour qualifier Facebook - ainsi que Twitter et Google - de \"honte totale\". Lire aussi : \"La liberté d'expression a été retirée au président des États-Unis parce que les fous de la gauche radicale ont peur de la vérité\", a-t-il déclaré. \"Le peuple de notre pays ne le supportera pas ! Ces réseaux sociaux corrompues doivent payer un prix politique, et ne doivent plus jamais être autorisées à détruire et décimer notre processus électoral.\" YouTube a déclaré qu'il réactiverait le compte de M. Trump lorsque la menace de \"violence dans le monde réel\" s'atténuerait. Twitter, où M. Trump avait 88 millions d'adeptes, l'a banni définitivement. Un porte-parole de Twitter a déclaré à la BBC : \"en général, le partage du contenu du site Web référencé est autorisé tant que le matériel ne viole pas les règles de Twitter\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51697733", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51674578", "doc1": "'শিশুদের পরিত্যাগ করা নিষিদ্ধ'', ভেনেজুয়েলার সড়কের পাশের দেয়াল জুড়ে এই বার্তা লিখে রেখেছেন শিল্পী এরিক মেহিকানো। মেহিকানো বলছেন, তিনি মানুষজনকে সতর্ক করতে চান যে, ভেনেজুয়েলায় এমন কিছু বিষয় অব্যাহতভাবে ঘটছে, যা আগে কখনোই স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়নি। দেশটির অর্থনীতির অব্যাহত পতন ঘটছে। প্রতি তিনজন ভেনেজুয়েলানের মধ্যে অন্তত একজন নূন্যতম পুষ্টিমানের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচীর একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকে জন্মনিরোধ কিনতে পারেন না, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের বিষয়টিও অনেকটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গর্ভপাত বিরোধী আইনের কড়াকড়ির কারণে নারীদের সামনে বিকল্পও খুব কম। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই একটি দাতব্য সংস্থা ২০১৮ সালে জানিয়েছে যে, সড়কে শিশুদের পরিত্যাগ করা বা আবাসিক ভবনের প্রবেশ দ্বারে শিশুদের রেখে যাওয়ার মতো ঘটনা অন্তত ৭০% বেড়ে গেছে। ভেনেজুয়েলার সরকার এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের কোন সরকারি তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করেনি। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় অথবা শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সরকারি সংস্থাও এসব ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। কিন্তু যেসব সমাজকর্মী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বিবিসি কথা বলেছে, তারা নিশ্চিত করেছেন যে, পরিত্যাগ করা শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে অনানুষ্ঠানিকভাবে দত্তক নেয়ার সংখ্যাও। অভাবী শিশুদের খাবার জোগাতে ভেনেজুয়েলায় গড়ে উঠেছে এরকম সামাজিক খাবার ব্যবস্থা 'শর্টকাট' কারাকাসের অন্যতম দরিদ্র এলাকাগুলোর একটিতে শিশুদের রক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে কাজ করেন নেলসন ভিলাসমিল। তিনি বলছিলেন, বিশৃঙ্খল আর সামান্য তহবিলের দত্তক ব্যবস্থার কারণে বেপরোয়া পিতা-মাতারা 'শর্টকাট' পথ বেছে নেন। যেমন শিশু টমাসের (আসল নাম নয়) গ��্পটি এরকম একটি ঘটনা। তার জন্ম হয়েছিল কারাকাসের একটি দরিদ্র মাতার ঘরে, যিনি মনে করেছিলেন যে, শিশুটিকে বড় করে তোলা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যে স্ত্রীরোগ বিশারদের সামনে টমাসের জন্ম হয়, তিনি সহায়তা করতে রাজি হন। তিনি বলছেন, এটাই প্রথম ঘটনা নয় যে, কোন মা তার শিশুকে বড় করতে অপারগ বোধ করেন। ''তবে প্রথম যখন শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করান, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা মন বদলে ফেলেন। কিন্তু সবসময়ে সেটা ঘটে না আর সেজন্যই একটি সমাধান খুঁজে বের করা দরকার।'' তিনি তার একজন রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চল্লিশ বছর বয়সী তানিয়া (আসল নাম নয়) নামের সেই নারী একটি সন্তান নেয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, কিন্তু গর্ভধারণ করতে পারছিলেন না। প্রথমে তিনি টমাসকে দত্তক নেয়ার কথা ভাবেন। পরে সিদ্ধান্ত বদলে তার বন্ধু এক দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন, যারা টমাসকে নিজের সন্তান হিসাবে গ্রহণ করতে রাজি হন। কোন সন্দেহ তৈরি যাতে না হয়, সেজন্য তাদের দ্রুত শিশুটির জন্ম নিবন্ধন করতে হতো। ফলে তানিয়া কর্মকর্তাদের আড়াইশো ডলার ঘুষ দেন, যাতে তারা আসল মায়ের নামের বদলে সেই বন্ধুর নাম টমাসের মা হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। এখন ভেনেজুয়েলার একটি গ্রামে সেই বন্ধু পরিবারে বড় হয়ে উঠছে টমাস। কয়েকদিন আগে টমাসের হাটতে শেখা উদযাপন করেছে পরিবারটি। তানিয়া বলছিলেন, টমাসের ভালোর জন্য তিনি প্রচলিত দত্তক নেয়ার পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়েছেন, সেজন্য কখনোই অনুশোচনা বোধ করেন না। ''আমি কখনোই এরকম কিছু করার কথা চিন্তা করিনি। কিন্তু ভেনেজুয়েলায় বৈধ দত্তক নেয়ার পদ্ধতি কাজ করে না এবং শিশুটিকে একটি সরকারি এতিমখানায় অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে বড় হতে হতো,'' তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন। 'ফাঁদে আটকে পড়া' মায়ের সম্মতিতেই টমাসকে নতুন পরিবারে দিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু ভেনেজুয়েলায় এমন নারীদের শোষণ করার মতো লোকের কমতি নেই। যেমন ইসাবেল (আসল নাম নয়) যখন দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেন, তখন তার স্বামী মারা যান। ফলে দ্বিতীয় সন্তানটিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন। ''আমি একা ছিলাম এবং ভয় পাচ্ছিলাম যে, আমি হয়তো আমার সন্তানকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারবো না।'' পরিচিত একজনের পরামর্শে এক দম্পতির সঙ্গে দেখা করতে তিনি ত্রিনিদাদের একটি দ্বীপে চলে যান। ওই দম্পতি তার সন্তানকে দত্তক নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকেই দত্তকের দিয়ে দেয়ার জন্য তার ওপর চাপ দেয়া শুরু হয়। কলম্বিয়ান একজন নারী চাপ দিতে শুরু করেন। ''আমাকে বলা হয়েছিল যে, সব কিছুই আইন মাফিক হবে এবং কখনোই সন্তানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু ত্রিনিদাদে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি আসলে একটা মানব পাচারকারী চক্রের জালে আটকে পড়েছি।'' ''আমাকে সবসময়েই নজরদারি করা হতো।'' ইসাবেল বলছেন, তিনি যে বাসায় ছিলেন, সেখান থেকে তাকে বের হতে দেয়া হতো না। ভেনেজুয়েলায় ফেরত যাবার যে রিটার্ন টিকেট দেয়ার কথা ছিল, সেটাও তাকে কখনোই আর দেয়া হয়নি। ভেনেজুয়েলায় অনেক দরিদ্র পরিবার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিমাণের খাবার যোগাড় করতে পারছে না বিচ্ছিন্নতা কয়েক সপ্তাহ পরে ত্রিনিদাদের একটি হাসপাতালে অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ইসাবেল। তিনি শিশুটিকে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু জন্মের পরপরই কলম্বিয়ান একজন নারী এবং একজন পুরুষ তার ওপর চাপ দিতে শুরু করে। ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন আইনজীবী বলে দাবি করেছিলেন। ''তারা আমাকে বলে যে, নতুন পিতামাতা পার্কিং লটে অপেক্ষা করছে এবং আমাকে কিছু ইংরেজি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে, যা আমি বুঝতে পারছিলাম না। সেই সঙ্গে শিশুটিকে তাদের কাছে তুলে দিতে হবে।'' প্রথমে তাতে রাজি হননি ইসাবেল। কিন্তু পরের সপ্তাহে তাকে আটকে রাখা ব্যক্তিরা চাপ বাড়িয়ে যায়। তার খাবার, ওষুধ এবং ন্যাপি সরিয়ে নিয়ে যায়। ''অবশেষে আমি আমার সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য আর ভেনেজুয়েলায় ফেরত আসার জন্য ছেলেটিকে তাদের কাছে তুলে দিতে বাধ্য হই,'' কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলছিলেন। বেসরকারি একটা সংস্থার সহযোগিতায় এখন সন্তানকে ফেরত আনার আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসাবেল। শিশুটি এখন ত্রিনিদাদ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বর্তমানে তিনি সপ্তাহে একদিন সন্তানকে দেখতে পান। ইসাবেল বলছেন, সন্তানকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়বেন না।", "doc2": "Ce signe est un moyen d'attirer l'attention sur le nombre croissant de bébés abandonnés L'artiste vénézuélien a affiché ces panneaux sur les murs de tout le Venezuela après qu'un nouveau-né ait été trouvé dans les ordures près d'un immeuble d'habitation dans la capitale, Caracas. Mejicano dit qu'il a lancé cette campagne pour alerter les gens sur le fait qu'au Venezuela \"quelque chose qui ne devrait jamais être considéré comme normal, devient courant \". L'économie du pays est en chute libre et un Vénézuélien sur trois a du mal à mettre suffisamment de nourriture sur la table pour répondre aux besoins nutritionnels minimums, selon une étude du Programme alimentaire mondial des Nations unies. Les contraceptifs étant difficiles à obtenir et dépassant les moyens financiers de beaucoup, les grossesses non désirées sont fréquentes. Des lois strictes sur l'avortement, qui n'autorisent les interruptions de grossesse que lorsque la vie de la mère est en danger ou que le fœtus n'est pas viable, limitent encore davantage les choix des femmes. A lire aussi sur BBC Afrique: En pleine crise économique, une organisation caritative a déclaré en 2018 qu'elle avait vu le nombre de bébés abandonnés dans les rues ou laissés à l'entrée des bâtiments publics augmenter de 70 %. Le gouvernement vénézuélien n'a pas publié de chiffres officiels ces dernières années et ni le ministère des communications ni l'organisme gouvernemental chargé des droits des enfants n'ont répondu aux demandes de réactions de la BBC. Mais les services sociaux et les travailleurs de la santé consultés par la BBC ont confirmé qu'il y avait eu une augmentation du nombre de bébés abandonnés ainsi qu'un pic dans le nombre de ceux qui sont remis à l'adoption informelle. Les raccourcis Nelson Villasmill est membre d'un conseil de protection de l'enfance dans l'une des régions les plus pauvres de Caracas, la capitale du pays. Il explique que, face à un système d'adoption mal financé et en plein désarroi, les parents désespérés ont parfois recours à des raccourcis. Des cuisines communautaires ont été mises en place pour aider à nourrir les personnes dans le besoin mais, malgré cela, la malnutrition est un problème majeur L'histoire du bébé Tomás (ce n'est pas son vrai nom) est un de ces cas. Il est né d'une mère vivant dans la pauvreté à Caracas qui estimait ne pas être en mesure de l'élever. Le gynécologue qui était présent à la naissance de Tomás a accepté de l'aider. Il dit que ce n'était pas la première fois qu'il rencontrait une mère qui se sentait incapable d'élever son bébé. \"Elles changent presque toujours d'avis la première fois qu'elles allaitent leur bébé\", explique-t-il. \"Mais parfois, ce n'est pas le cas, et il faut alors trouver une solution\". Il a contacté l'une de ses patientes. Dans la quarantaine et rêvant d'avoir un bébé, Tania (ce n'est pas son vrai nom) n'avait pas réussi à tomber enceinte. Elle voulait aider Tomás et sa mère, mais après réflexion, elle a décidé de ne pas l'accueillir. Elle a donc contacté un couple dont elle est amie et qui a accepté d'élever Tomás comme leur propre enfant dans leur maison, dans la campagne vénézuélienne. Ils ont dû faire enregistrer le bébé rapidement pour ne pas éveiller les soupçons. Tania a donc versé un pot-de-vin de 250 dollars à un fonctionnaire pour qu'il ferme les yeux et inscrive le nom de son amie comme mère biologique de Tomás. Tomás est maintenant élevé par ses amis à la campagne et sa nouvelle famille vient de célébrer ses premiers pas. Tania dit qu'elle ne regrette pas ce qu'elle a fait et insiste sur le fait qu'elle a contourné les voies officielles d'adoption au profit de Tomás. \"Je n'avais jamais pensé à faire quelque chose comme ça, mais l'adoption légale ne fonctionne pas au Venezuela et ce bébé aurait subi de nombreuses difficultés dans un orphelinat public\", explique-t-elle. A regarder sur BBC Afrique: Paris sportifs: les enfants vulnérables Piégée Tomás a été donné avec le consentement de sa mère, mais les personnes qui exploitent le désespoir des femmes vénézuéliennes ne manquent pas. Alors qu'elle était enceinte de son deuxième enfant, le mari d'Isabel est mort, ce qui a poussé Isabel (ce n'est pas son vrai nom) à envisager d'abandonner l'enfant qu'elle attendait. \"J'étais seule et j'avais peur de ne pas pouvoir nourrir mon bébé\", dit-elle. Sur les conseils d'une connaissance, elle s'est envolée pour l'île de Trinidad dans les Caraïbes pour rencontrer un couple dont on lui avait dit qu'il était intéressé par l'adoption de son bébé. On lui a dit qu'elle aurait le dernier mot dans toute décision, mais elle a rapidement subi la pression de la Colombienne qui s'occupait des arrangements. \"On m'a dit que tout serait légal et que je ne m'engagerais jamais à donner mon bébé\", se souvient-elle. Mais une fois à Trinidad, \"j'ai réalisé que j'avais été piégée dans un filet de trafiquants d'êtres humains\". \"J'étais toujours surveillée\", se souvient-elle. Isabel dit qu'elle n'a pas été autorisée à quitter la maison où elle logeait et que le billet de retour pour le vol qui lui avait été promis pour la ramener au Venezuela ne s'est jamais matérialisé. Séparée Quelques semaines plus tard, elle a accouché prématurément dans un hôpital de Trinidad. Elle a décidé de garder le bébé, mais a immédiatement subi les pressions de la femme colombienne et d'un homme qui prétendait être avocat. \"Ils m'ont dit que les nouveaux parents attendaient dans le parking et que je devais signer certains documents en anglais que je ne comprenais pas et remettre mon bébé\". Isabel a d'abord refusé, mais au cours des semaines suivantes, ses ravisseurs ont augmenté la pression, lui enlevant sa nourriture, ses médicaments et ses couches. \"À la fin, j'ai dû livrer mon fils pour lui sauver la vie et pour que je retourne au Venezuela pour chercher de l'aide\", dit-elle en pleurant. Avec l'aide d'une organisation non gouvernementale, Isabel s'est lancée dans une bataille juridique pour récupérer son fils qui est sous la tutelle des autorités de Trinidad. Pour l'instant, elle n'est autorisée à le voir qu'une fois par semaine. Elle dit qu'elle n'abandonnera pas tant qu'elle n'aura pas retrouvé son fils."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55028508", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55035752", "doc1": "নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জিউলিয়ানি জালিয়াতির অনেক অভিযোগ তুলে ধরেন। বিবিসির রিয়েলিটি চেক টিম জালিয়াতি এবং অনিয়মের প্রধান অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখেছে: অভিযোগ ১: ডেমোক্র্যাটদের ব্যাখ্যাহীন ভোটের জোয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং অন্যান্যরা বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন যে, ভোট গণনার সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের পক্ষে হঠাৎ করে বিপুল সংখ্যায় ভোট আসতে শুরু করে। ১৯শে নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন রুডি জিউলিয়ানি একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ডেট্রয়েটের এক ভোট গণনা কেন্দ্রে একদিন সকালে হাজার হাজার অতিরিক্ত ব্যালট এসে হাজির হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জিউলিয়ানি। তিনিই নির্বাচনী ফল চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন ভোট কর্মীর দাবির ভিত্তিতে মিস্টার জিউলিয়ানি এই অভিযোগটি তোলেন। ঐ ভোট কর্মী দাবি করেছিলেন, তিনি সেখানে দুটি ভ্যান আসতে দেখেন, যেগুলোতে করে খাবার আনার কথা ছিল। কিন্তু এই দুটি ভ্যান থেকে তিনি ''কোন খাবার নামাতে দেখেননি‌। অথচ কাকতালীয়-ভাবে তখন খবর প্রচারিত হয় যে মিশিগানে আরও এক লাখ বেশি ব্যালট খুঁজে পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ভ্যানটি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর দুঘণ্টা তখনো পার হয়নি।\" কিন্তু এই অভিযোগটি সহ অন্য আরও কিছু অভিযোগ ১৩ই নভেম্বর একজন বিচারক তার রায়ে বাতিল করে দেন এই বলে যে, এগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। রিপাবলিকানদের তরফ থেকে এরকম আরও অভিযোগ তোলা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্যে, যেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল। রিপাবলিকানরা অভিযোগ করছিল, এসব রাজ্যে হঠাৎ করে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোটের জোয়ার দেখা গেছে। নির্বাচনে জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে এরকম একটা পরোক্ষ ইঙ্গিত ছিল এসব অভিযোগে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এজন্যে দায়ী ��িল আসলে কাগজপত্রের ভুল বা সফটওয়্যারের ত্রুটি, যা ধরা পড়ার পর সংশোধন করা হয়েছিল। এখানে আরও একটি বিষয় বলা দরকার। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। আর এদের বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকেই ভোট দিয়েছেন। এসব ভোট গণনায় সময় লেগেছে অনেক বেশি। আর এই গণনার ফল নির্বাচনের পরদিন এক-জায়গায় করার পর প্রকাশ করা হচ্ছিল ধাপে ধাপে। ফলে হঠাৎ করেই জো বাইডেনের পক্ষে ভোট হঠাৎ উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। আর এটা সত্যি নয় যে এসব অতিরিক্ত ভোটের সবই মিস্টার বাইডেন পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও অনেক ভোট ছিল। অভিযোগ ২: ভোট গণনার সময় সেখানে যেতে দেয়া হয়নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার আইনজীবীদের দল অন্য যে অভিযোগটি তুলেছিলেন, সেটি হচ্ছে ফিলাডেলফিয়া এবং ডেট্রয়েটের মতো কিছু ডেমোক্র্যাট শাসিত নগরীতে ভোট গণনার স্থানে রিপাবলিকান ভোট পর্যবেক্ষকদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ভোট কেন্দ্রে ব্যালট গণনার সময় সেখানে ভোট পর্যবেক্ষকদের ঢুকতে দেয়া হয়, যাতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। বেশিরভাগ রাজ্যেই পর্যবেক্ষকদের এই সুযোগ দেয়া হয়, যদি কিনা তারা নির্বাচনের আগের দিন তারা নিবন্ধন করেন। আর ভোট পর্যবেক্ষকরা সাধারণত কোন একটি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিছু কিছু এলাকায় ভোট পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছিল। এর কারণ ছিল মূলত করোনাভাইরাস। কিন্তু ডেট্রয়েট এবং ফিলাডেলফিয়াতে দুটি দলের পর্যবেক্ষকদেরই ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ডেট্রয়েটে, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান- এই দুটি দলের ১৩০ জনের বেশি পর্যবেক্ষককে ভোট গণনার স্থানে যেতে দেয়া হয়েছিল। পেনসিলভানিয়ায় এই অভিযোগটি রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৭ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, পোস্টাল ভোট গণনার সময় পর্যবেক্ষকরা কতটা কাছাকাছি গিয়ে তা দেখতে পারবেন, সেটার সীমা বেঁধে দিয়ে পেনসিলভানিয়া রাজ্যের কর্মকর্তারা কোন আইন ভঙ্গ করেননি। ড্রেট্রয়েট, মিশিগানে একটি কেন্দ্রে ভোট গণনা চলছে আরও পড়ুন: শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প দীর্ঘ নীরবতার পর বাইডেনকে চীনের অভিনন্দন ট্রাম্পের পরাজয় বিশ্বের দক্ষিণপন্থী ‘কঠোর নেতাদের’ জন্য কী অর্থ বহন করে? অভিযোগ ৩: ট্রাম্পের পক্ষে দেয়া ভোট বাইডেনের পক্ষে গোণা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা একটি অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে তার লিগ্যাল টিম । এই অভিযোগে বলা হচ্ছে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোট গণনা ব্যবস্থায় সমস্যা ছিল। এসব রাজ্যে মিস্টার ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে এমন লাখ লাখ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের পক্ষে গণনা করা হয়েছে। এই অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লিগ্যাল টিম এর পক্ষে কোন প্রমাণ হাজিরও করেননি। মূলত একটি রক্ষণশীল সংবাদ মাধ্যম 'ওয়ান আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্ক (ওএএনএন)' ভোট গণনার মেশিন 'ডোমিনিয়ন ভোটিং মেশিনের' ব্যাপারে এই অভিযোগ করেছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র ভোট গণনায় এই মেশিনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। 'ওয়ান আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্কের' খবরে এই অভিযোগটি করা হয়েছিল একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী, 'এডিসন রিসার্চের' উদ্ধৃতি দিয়ে। এডিসন রিসার্চ নাকি ''অযাচাই-কৃত তথ্য'' বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছে, ট্রাম্পের পক্ষে পড়া লাখ লাখ ভোট এভাবে উল্টে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এডিসন রিসার্চের প্রেসিডেন্ট ল্যারি রসিন বলেছেন, এরকম কোন রিপোর্ট তারা তৈরিই করেননি। আর কোন ভোট জালিয়াতির প্রমাণও তাদের কাছে নেই। ডোমিনিয়ন ভোটিং সিস্টেমও একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, \"ডোমিনিয়ন মেশিনে ভোট পাল্টে দেয়া হয়েছে বা ভোট মুছে ফেলা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে ,তা শতভাগ মিথ্যা। অভিযোগ ৪: ভোটিং মেশিনগুলোর মালিকানা ডেমোক্র্যাটদের হাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে ডোমিনিয়ন ভোটিং সিস্টেমের মালিকানা কট্টর বামপন্থীদের হাতে। মিস্টার ট্রাম্পের লিগ্যাল টিম ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে এই কোম্পানির সঙ্গে বিল এবং হিলারি ক্লিনটন এবং অন্যান্য ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতিকের সম্পর্ক আছে। কিন্তু এক বিবৃতিতে ডোমিনিয়ন ভোটিং সিস্টেম জানিয়েছে এটি একটি দল-নিরপেক্ষ মার্কিন কোম্পানি। তাদের মালিকানার সঙ্গে ক্লিনটনদের বা ন্যান্সি পেলোসি বা অন্য কোন শীর্ষ ডেমোক্র্যাটিক নেতার কোন সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেয়া এবং গণনার কাজে ডোমিনিয়ন মেশিন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় তবে এখানে একটা পার্থক্য মনে করিয়ে দেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডোমিনিয়নের সরাসরি মালিকানার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে এই কোম্পানি বিভিন্ন দাতব্য কাজে বা লবি করার জন্য যে অর্থ খরচ করেছে, তার পার্থক্য আছে। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক এই উভয় দলকেই ডোমিনিয়ন চাঁদা দিয়েছে। তবে তাদের মতো একটি কোম্পানি সরকারি ব্যবসা পাওয়ার জন্য এরকম লবি করা যুক্তরাষ্ট্রে অস্বাভাবিক কিছু নয়। ২০১৪ সালে ডোমিনিয়ন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের তহবিলে চাঁদা দেয়। কিন্তু এই কোম্পানি আবার সেনেটে রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেলের জন্যও চাঁদা দিয়েছে। ন্যান্সি পেলোসির ব্যাপারে যে গুজব শোনা যায়, তা মূলত তার সাবেক চীফ অব স্টাফ নাদিম এলশামি ডোমিনিয়নে যোগ দেয়ার কারণে। কিন্তু ডোমিনিয়ন এর আগে রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গে যুক্ত লোকজনকেও চাকুরীতে নিয়েছে। অভিযোগ ৫: হাজার হাজার মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন যে এবারের নির্বাচনে হাজার হাজার মৃত মানুষের পক্ষে ব্যাপক সংখ্যায় ভোট দেয়া হয়েছে। জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এরকম রাজ্যগুলোতে এভাবে হাজার হাজার ভোট পড়েছে। বিবিসির রিয়েলিটি চেক টিম মিশিগানে এরকম দশ হাজার মানুষের একটি তালিকা যাচাই করে দেখেছে। বলা হয়েছে এই তালিকার সবাই মৃত, কিন্তু তাদের নামে ভোট দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় আসলে মৌলিক ত্রুটি আছে। রবার্তো গার্সিয়ার নাম ছিল কথিত 'মৃত ভোটারদের' তালিকায়। কিন্তু তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন এবং জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন অন্যান্য মৃত ভোটের তালিকা যাচাইয়ের পর সেখানেও একই জিনিস দেখা গেছে। এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে মৃত লোকদের নামে ব্যালট পেপার নিয়ে ব্যাপক হারে ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। ফক্স নিউজের একজন উপস্থাপক টাকার কার্লসন একবার ট্রাম্পের নির্বাচনী টিমের করা এরকম একটি অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন, পরে তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী টিম জর্জিয়ায় একজন মাত্র ''মৃত ভোটারের'' কথা উল্লেখ করেছিল, কিন্তু পরে দেখা গেল সেই লোকও আসলে জীবিত। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অতীতে এরকম ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মনে হয়েছে, কোন মৃত লোক বুঝি ভোট দিয়েছে। কিন্তু এরকম ঘটনা যে ব্যাপকভাবে ঘটেছে তার প্রমাণ নেই। মূলত কাগজপত্রের ভুলে এরকম হয়ে থাকে। ভো��টি হয়তবা বৈধ। অথবা হয়তো একই পরিবারের একই নামের আরেকজন সদস্য তার ব্যালটে এই ভোট দিয়েছেন।", "doc2": "Certaines de ces questions ont été mises en évidence lors d'une conférence de presse jeudi, dirigée par l'avocat du président, Rudy Giuliani. Nous avons examiné ces principales allégations de fraude et d'irrégularités. A lire aussi sur BBC Afrique: Allégation 1 : une hausse inexpliquée des votes démocrates Le président Trump et d'autres personnes font état des allégations selon lesquelles des votes en faveur de son rival, Joe Biden, seraient soudainement apparus en grand nombre pendant le dépouillement. Lors de sa conférence de presse du 19 novembre, M. Giuliani a répété que des milliers de bulletins supplémentaires ont été décomptés très tôt le matin dans un centre de dépouillement de Detroit. L'avocat du président Trump, Rudy Giuliani, a mené certaines des contestations judiciaires Les remarques de M. Giuliani sont fondées sur une déclaration d'une employée électorale, qui affirme avoir vu deux camionnettes destinées à apporter de la nourriture, mais elle dit n'avoir \"jamais vu de nourriture sortir des camionnettes, et par coïncidence, il a été annoncé aux informations que le Michigan avait trouvé plus de 100 000 bulletins de vote supplémentaires - même pas deux heures après le départ de la dernière camionnette\". Cependant, cette affirmation - et d'autres allégations - sont rejetées dans un jugement rendu le 13 novembre, le juge ayant décidé qu'elles n'étaient pas crédibles. Il y a eu des allégations similaires du côté républicain concernant des pics soudains de votes en faveur des démocrates dans des États clés, impliquant une fraude possible. Mais dans certains cas, cela est attribué à des erreurs d'écriture ou à la découverte de bugs informatiques, qui ont ensuite été corrigés. Il convient également de dire que les bulletins de vote par correspondance, qui ont été utilisés en nombre record lors de cette élection, ont massivement favorisé le parti démocrate. Ils ont pris plus de temps à être compter, et les résultats ont été compilés et publiés par lots après le jour du scrutin, ce qui explique la hausse soudaine des votes en faveur de M. Biden. Et il n'est pas vrai que tous les votes supplémentaires ont été en faveur de M. Biden - certains ont également été en faveur du président Trump. Allégation 2 : Accès bloqué aux décomptes Le président Trump et son équipe juridique contestent le manque d'accès des observateurs républicains dans certaines villes dirigées par les démocrates, comme Philadelphie et Detroit. Les observateurs sont des personnes autorisées à pénétrer dans les bureaux de vote pour observer le dépouillement des bulletins, dans le but de garantir la transparence. Ils sont autorisés dans la plupart des États, à condition d'être enregistrés avant le jour du scrutin et d'être généralement affiliés à un parti. Dans certains endroits, leur nombre a été limité, en partie pour limiter la capacité d'accueil en raison des coronavirus. Mais les observateurs des deux partis ont été autorisés à observer le décompte des voix à Detroit et à Philadelphie. À Detroit, plus de 130 observateurs représentant les démocrates et les républicains ont été autorisés à pénétrer dans le site de comptage. En Pennsylvanie, la question a été portée devant la Cour suprême de l'État, qui a statué le 17 novembre que les fonctionnaires de Philadelphie n'avaient pas violé la loi de l'État en limitant la distance entre les observateurs et le traitement des bulletins de vote par correspondance. Comptage dans un centre électoral à Detroit, Michigan Allégation 3 : les votes sont passés de Trump à Biden L'équipe juridique du président Trump répète également une affirmation du président selon laquelle il y a eu un problème avec le système de vote utilisé dans certains États qui aurait permis de faire passer des millions de ses voix à son rival Joe Biden. Il n'y a aucune preuve à cet égard, et aucune n'a été fournie par l'équipe juridique du président. Le président se fait l'écho des accusations portées par le média conservateur One American News Network (OANN) au sujet des machines de vote Dominion, qui ont été largement utilisées dans l'ensemble des États-Unis lors de cette élection. Un rapport de l'OANN fait référence à une \"analyse non vérifiée des données\" obtenue auprès d'un groupe de surveillance des élections appelé Edison Research, qui aurait montré que des millions de votes ont été retournés. Cependant, le président de la société, Larry Rosin, déclare que \"Edison Research n'a produit aucun rapport de ce type et nous n'avons aucune preuve de fraude électorale.\" Dominion Voting Systems a publié une déclaration disant \"Les affirmations concernant le changement ou la suppression de votes par Dominion sont fausses à 100%.\" Allégation 4 : les machines de vote sont la propriété des démocrates Le président Trump relate que les \"systèmes de vote nationaux appartenaient à la gauche radicale\", son équipe juridique soulignant les liens avec Bill et Hillary Clinton et d'autres politiciens démocrates. Dans une déclaration, Dominion Voting Systems explique qu'il s'agit d'une société américaine non partisane et qu'elle n'a aucun lien de propriété avec les Clinton ou avec la haute responsable politique démocrate Nancy Pelosi. Le logiciel Dominion a été largement utilisé dans les machines de vote et de comptage Il est important de clarifier la différence entre la propriété directe de Dominion, telle que revendiquée par le président Trump, et les dons faits par la société à des fins philanthropiques ou de lobbying. Dominion fait des dons à la fois aux Républicains et aux Démocrates, mais il n'est pas rare qu'une entreprise comme celle-ci fasse ainsi du lobbying pour obtenir des contrats gouvernementaux. Dominion a fait un don à la Fondation Clinton en 2014, mais la société a également fait un don au leader de la majorité au Sénat républicain, Mitch McConnell. Les rumeurs concernant la présidente Pelosi proviennent du fait que son ancien chef de cabinet, Nadeam Elshami, a été engagé par Dominion - mais celui-ci a également engagé du personnel précédemment associé au parti républicain. Allégation 5 : des milliers de morts ont voté Le président Trump et ses partisans affirment que des bulletins de vote ont été déposés à grande échelle pour les personnes décédées - avec des milliers de votes dans les États clés. Nous avons examiné une liste de 10.000 personnes dans l'État du Michigan dont on disait qu'elles étaient mortes mais qui ont voté - et nous avons constaté que cette allégation est fondamentalement erronée. Roberto Garcia était sur la liste des \"électeurs morts\" du Michigan, mais il nous l'a dit : \"Je suis définitivement en vie et j'ai définitivement voté pour Biden !\" Les enquêtes sur d'autres listes d'\"électeurs morts\" ont abouti à des conclusions similaires - sans qu'aucune preuve n'apparaisse qu'il y ait eu une fraude généralisée par le biais de bulletins de vote pour des personnes décédées. L'animateur de Fox News, Tucker Carlson, s'est excusé après avoir répété les affirmations de l'équipe de campagne de Trump et a pointé du doigt un \"électeur mort\" en Géorgie qui s'est avéré par la suite être en vie. Il est arrivé, lors d'élections américaines, que des personnes décédées aient apparemment voté, mais les faits montrent que ce problème n'est pas très courant."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49594371", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-49599437", "doc1": "অনেক মানুষ বিশ্বাস করে বিজ্ঞাপনের জন্য লক্ষ্যবস্তু করতে ফোনে তাদের কথাবার্তা আড়ি পেতে শোনা হচ্ছে। ইন্টারনেটে প্রায়ই পোস্ট দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছাড়া হয়, যেখানে মানুষ দাবি করে যে ফেসবুক এবং গুগলের মত সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে এমন প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তারা বলে থাকে যে তাদের সূক্ষ্মভাবে বিজ্ঞাপনের জন্য নিশানা করতেই গোপনে তাদের কথা শোনা হয়। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এমন সব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে লোকজন হয়ত নির্দিষ্ট কোন পণ্য নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন আর তারপরই ঠিক সেই পণ্য নিয়ে অনলাইনে তার কাছে পাঠানো হয়েছে বিজ্ঞাপন। ওয়াণ্ডেরা নামে এক সংস্থার ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মানুষের অনলাইনের এই অভিজ্ঞতা হুবহু অনুকরণ করে দেখেছেন মোবাইল ফোনে বা কোন অ্যাপে গোপনে কারো কথা শোনার কোন তথ্যপ্রমাণ তারা পাননি। গবেষকরা দুটি মোবাইল ফোন একটি ''শ্রবণ কক্ষে'' রাখেন। এর একটি স্যামসাং অ্যান্���্রয়েড ফোন এবং অন্যটি অ্যাপেল আই ফোন। তিরিশ মিনিট ধরে তারা অনবরত বিড়াল ও কুকুরের খাবারের একই বিজ্ঞাপন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাজান। তারা একটি নিস্তব্ধ ঘরে দুটি হুবহু একইরকম ফোন রাখেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ক্রোম, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন-এর মত অ্যাপগুলো চালু অবস্থায় রাখেন। প্রত্যেকটি অ্যাপেই তারা সবরকম অনুমতি খোলা রেখেছিলেন। স্ন্যাপচ্যাটের মত অ্যাপগুলো নিয়ে তাদের পরীক্ষা চালান মোবাইল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তারা এরপর প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েবপেজে গিয়ে কুকুর ও বিড়ালের খাবারের বিজ্ঞাপনগুলো দেখেন। পরীক্ষাকালীন সময়ে তারা ফোনগুলোর ব্যাটারি কতটা ব্যবহার হয়েছে এবং ডেটা কতটা খরচ হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। তারা তিনদিন একই সময়ে একই পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি করেন। এবং দেখেন ''শ্রবণ কক্ষে'' রাখা ফোনে কুকুর ও বিড়ালের খাবারের কোন বিজ্ঞাপন পাঠানো হয়নি এবং ডেটা বা ব্যাটারির ব্যবহারও অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যাবার কোন প্রমাণ নেই। বিবিসি বাংলায় পড়ুন: আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মৃত স্বজনের সঙ্গে সেলফি? মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? ''শ্রবণ কক্ষে''র ফোনগুলোতে এবং নিস্তব্ধ ঘরে রাখা ফোনগুলোতে ব্যবহারের যেসব চিহ্ণ ছিল,তা একইরকম। ওয়াণ্ডেরা কোম্পানির একজন প্রকৌশলী জেমস ম্যাক বলেছেন: ''ওই তিরিশ মিনিটের মধ্যে আমরা ফোন থেকে যেসব ডেটা পেলাম তা সিরি বা হে গুগল-এর মত ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট-এর ডেটার তুলনায় অনেক কম। যার অর্থ হল ফোনের কথোপকথন যে ক্রমাগত রেকর্ড হচ্ছে এবং তা আই ক্লাউডে ক্রমাগত তোলা হচ্ছে বিষয়টা তেমন নয়।'' ''সেটা যদি হতো, তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট যে পরিমাণ ডেটা ব্যবহার করেছে ফোনের ডেটা খরচ সমপরিমাণ হতো,'' মি: ম্যাক বলেন। মোবাইল ফোনের মধ্যে যে মাইক্রোফোন আছে তা গোপনে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এমন ধারণা অনেক বছর ধরেই বড় বড় সংস্থাগুলো নাকচ করে দিয়েছে। গত বছর ফেসবুকের প্রধান মার্ক যাকারবার্গ যখন মার্কিন সেনেটে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিচ্ছিলেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল একরকম করা হচ্ছে কিনা। তিনি সরাসরি সেটা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর অবিশ্বাস বাড়ার কারণে বহু মানুষ এখনও মনে করেন এমনটা আসলে ঘটছে। তবে গবেষণায় একটা জিনিস দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বেশিরভাগ অ্যাপ নিস্তব্ধ ঘরের ভেতর থাকা অবস্থায় অনেক বেশি ডেটা ব্যবহার করে। তুলনায় অ্যাপল ফোনের অ্যাপ শব্দ বেশি এমন ঘরে ডেটা ব্যবহার করে বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন এটা কেন হচ্ছে সে বিষয়টা এখনও তারা বুঝে উঠতে পারেননি এবং তারা এটা নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান। তবে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী এল্ডার টুভি বলছেন সার্বিক ফলাফল যা তারা দেখেছেন তার ভিত্তিতে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা তথ্য গোপনভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। \"আমি এটুকু বলব যে আমরা যে প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি, সেখানে এধরনের ঘটনা ঘটছে এমন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা আদৌ পাইনি। এমন হতে পারে যে এটা এমনভাবে হচ্ছে যেটা আমরা জানি না- তবে আমি বলব এটার সম্ভাবনা খুবই কম।\" যারা তথ্য নিরাপত্তা খাতের সঙ্গে যুক্ত তারা এই গবেষণার ফলাফলে খুব একটা অবাক হবেন না। তারা অনেক বছর ধরেই জানেন যে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো আমাদের সম্পর্কে এতটাই জানে যে আমাদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন পাঠানোর জন্য আড়ি পেতে ফোনে আমাদের কথাবার্তা শোনার দরকার তাদের হয় না। বাস্তবতা হল বিজ্ঞাপনদাতাদের অনেক উন্নত ও আধুনিক উপায় জানা আছে যার মাধ্যমে তারা একজনের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিতে পারেন। আপনি কোন্ স্থান থেকে ফোন বা ডেটা ব্যবহার করছেন সেই লোকেশনের তথ্য থেকে, আপনার ব্রাউজিং ইতিহাস থেকে, ট্র্যাকিং পিক্সেল বিশ্লেষণ করে তারা অনায়াসে জানতে পারে বা আন্দাজ করতে পারে যে আপনি কী কেনার কথা ভাবছেন। বাস্তবতা হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতাদের অনেক উন্নত ও আধুনিক উপায় জানা আছে যার মাধ্যমে তারা একজনের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিতে পারেন। তারা আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দিয়ে সহজেই জেনে নিতে পারে আপনি কি খুঁজছেন। এসব প্রযুক্তি ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। মোবাইল বিজ্ঞাপন এবং নিরাপত্তা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে এমন প্রযুক্তি আছে যে আপনি কী চাইছেন তা আপনি ভাল করে বোঝার আগেই আপনার কী ভাল লাগতে পারে তা তারা বুঝে ফেলছেন। তবে গত জুন মাসে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্-এ নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর থেকে ১৭ হাজার মোবাইল অ্যাপ পরী���্ষা করেছিলেন। তারা গোপনে আড়ি পেতে ফোন ব্যবহারকারীর কথোপকথন শোনার কোন তথ্যপ্রমাণ পাননি ঠিকই, কিন্তু তারা দেখেছিলেন যে খুবই অল্প সংখ্যক অ্যাপ ফোন ব্যবহারকারীর ফোনে বিভিন্ন কার্যকলাপের স্ক্রিনশট, এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও তৃতীয় কোন সংস্থার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তবে সেগুলো কোন বিজ্ঞাপন সংস্থা নয়, সেগুলো পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র গবেষণা তথ্যের জন্য। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: নারী ক্রু-র শরীরে বাঁধা ৮২টি সোনার বার তারকাদের পাসপোর্ট, এনআইডির কপি নিয়ে হুমকি দেশে দেশে বিধবাদের জন্য যত অমর্যাদাকর রীতি", "doc2": "Beaucoup de gens croient que leurs conversations sont écoutées pour mieux cibler la publicité. Internet est inondé de messages et de vidéos sur les réseaux sociaux où les gens prétendent avoir la preuve que des gens comme Facebook et Google espionnent les utilisateurs afin de diffuser des publicités hyper ciblées. Les vidéos sont devenues virales au cours des derniers mois, montrant des gens parlant de produits, puis des publicités pour ces articles précis apparaissent en ligne. Aujourd'hui, les spécialistes de la cybersécurité de Wandera ont imité les expériences en ligne et n'ont trouvé aucune preuve que les téléphones ou les applications écoutaient en secret. Lire aussi : Y-a-t'il un espion caché dans votre poche? WhatsApp infecté par un logiciel espion Les chercheurs ont placé deux téléphones - un téléphone Android Samsung et un iPhone Apple - dans une \"salle audio\". Pendant 30 minutes, ils ont joué le son des publicités de nourriture pour chats et chiens en boucle. Ils ont aussi mis deux téléphones identiques dans une pièce silencieuse. Les spécialistes de la sécurité ont maintenu les applications Facebook, Instagram, Chrome, SnapChat, YouTube et Amazon ouvertes avec toutes les permissions accordées à chaque plate-forme. A regarder : La folie iPhone X s'empare de la planète Ils ont ensuite cherché des annonces liées à la nourriture pour animaux de compagnie sur chaque plateforme et page Web qu'ils ont visitée par la suite. Ils ont également analysé l'utilisation de la batterie et la consommation de données sur les téléphones pendant la phase de test. Ils ont répété l'expérience au même moment pendant trois jours, et n'ont noté aucune publicité pertinente sur les téléphones de la \"salle audio\" et aucune augmentation significative de l'utilisation des données ou des piles. Usage des données iOS contre Hey Siri (MB de donnée au-delà de 30 minutes) Utilisation des données iOS par rapport à Hey Siri Usage des données Android contre OK Google (MB de donnée au-delà de 30 minutes) Usage des données Android contre OK Google L'activité observée sur les téléphones dans la \"salle audio\" et dans les salles silencieuses était similaire. Ils ont enregistré les données transférées à partir des appareils - mais à des niveaux bas et loin de la quantité observée lorsque des assistants virtuels comme Siri ou Hey Google sont actifs. James Mack, ingénieur système chez Wandera, a dit : \"Nous avons observé que les données de nos tests sont bien inférieures à celles de l'assistant virtuel sur une période de 30 minutes, ce qui suggère que l'enregistrement constant des conversations et le téléchargement dans le nuage ne se produit sur aucune de ces applications testées\". \"Si c'était le cas, nous nous attendrions à ce que l'utilisation des données soit aussi élevée que la consommation de données des assistants virtuels \", a déclaré M. Mack. Lire aussi : Une faille rend les réseaux wifi \"piratables\" Les cybercriminels ont empoché 25 millions $ en 2 ans Depuis des années, les géants de la technologie ont nié qu'ils utilisent les microphones de nos mobiles pour espionner. L'an dernier, on a demandé au chef de Facebook Mark Zuckerberg si cela se produisait dans le cadre de son témoignage devant le Sénat américain, ce qu'il a catégoriquement nié. Cependant, à mesure que la méfiance à l'égard des géants de la technologie s'est accrue, de nombreux utilisateurs ont encore l'impression que cela leur arrive. Fait intéressant, l'étude a révélé que la plupart des applications de téléphone Android semblent consommer beaucoup plus de données dans les pièces silencieuses tandis que de nombreuses applications iOS utilisent plus dans les pièces où jouent des audios. Les analystes disent qu'ils ne sont pas certains de la raison pour laquelle c'est le cas, mais qu'ils sont déterminés à poursuivre leurs recherches sur la question. Usage des données Android par application (MB de donnée au-delà de 30 minutes) Usage des données Android par application Usage de données iOS par application (MB de donnée au-delà de 30 minutes) Usage de données iOS par application (MB de donnée au-delà de 30 minutes) Quoi qu'il en soit, Eldar Tuvey, cofondateur et directeur de la société, est convaincu que les résultats globaux montrent qu'aucun transfert secret de données importantes n'a lieu. \"Je mettrais mon nom sur la recherche et je dirais que nous n'avons trouvé aucune preuve de ce qui se passait sur les plates-formes que nous avons testées. Cela peut se produire d'une manière que nous ne connaissons pas, mais je dirais que c'est très improbable \", a déclaré M. Tuvey. Lire aussi : La Suisse défie les hackers Piratage massif de sites web du gouvernement kenyan Les résultats ne surprendront pas ceux de l'industrie de la sécurité de l'information qui savent depuis des années que les géants de la technologie en savent tellement sur nous qu'ils n'ont pas vraiment besoin d'écouter nos conversations pour nous servir des publicités ciblées. La réalité est que les annonceurs ont des moyens sophistiqués de profiler les utilisateurs. Les données de localisation, l'historique de navigation et le suivi des pixels, par exemple, fournissent suffisamment d'informations pour prédire ce que vous pensez peut-être acheter. La réalité est que les annonceurs ont des moyens sophistiqués de profiler les utilisateurs Ils peuvent également vous mettre en relation avec des amis via les réseaux sociaux et deviner que vous pourriez être intéressé par les choses qu'ils recherchent. Ces techniques s'améliorent et évoluent constamment. Soteris Demetriou, expert en publicité mobile et en sécurité, de l'Imperial College de Londres, a déclaré : \"les publicités que vous voyez sont le résultat d'une énorme quantité de données que les entreprises ont sur vous. Ils partagent une grande quantité d'informations à travers des réseaux publicitaires alimentés par des algorithmes d'apprentissage machine extrêmement puissants\". \"Ils ont maintenant la capacité de savoir efficacement ce qui pourrait vous intéresser avant même que vous ne le sachiez \", a déclaré le Dr Demetriou. Il y a bien sûr des cas où certaines applications ont été trouvées en train d'enregistrer l'activité des utilisateurs à des fins publicitaires. Lire aussi : Comment j'ai démasqué un cyber criminel Cyber attaque: la Corée du Nord indexée En juin dernier, des chercheurs de la Northeastern University, dans l'État américain du Massachusetts, ont testé 17 000 applications mobiles provenant de divers magasins d'applications Android dans le monde. Ils n'ont trouvé aucune preuve d'écoute - mais ils ont découvert que certaines applications relativement petites envoyaient des captures d'écran et même des vidéos des activités des téléphones des utilisateurs à des tiers. Bien que cela ait été fait à des fins de développement et non à des fins publicitaires. Il est également admis que certains groupes liés à des États attaquent régulièrement les appareils mobiles de cibles de haut niveau à des fins d'espionnage. En mai, WhatsApp a admis que des pirates informatiques avaient réussi à installer à distance des logiciels de surveillance sur des appareils via son application. WhatsApp, qui appartient à Facebook, a déclaré que l'attaque visait un \"nombre restreint\" d'utilisateurs et a été orchestrée par \"un cyberacteur avancé\". La faille de sécurité a depuis été corrigée."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47879822", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47884528", "doc1": "ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা সম্ভব হয় নি এর আগে বলা হচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ঘটনা। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে মহাকাশের এমন একটি অংশ যার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই প্রচন্ড যে তার হাত থেকে কোন কিছুই - এমনকি আলোর রশ্মিও পালাতে পারে না। এর নাম গহ্বর বলা হলেও আসলে এটা ফাঁকা নয়। বরং এর ভেতরে খুব ছোট একটি জায়গায় বিপুল পরিমাণ পদার্থ জমাট বেঁধে আছে। তার ফলেই এর মহাকর্ষ শক্তি এত জোরালো। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বৃত্তা���ার কালো আভার চারদিকে এক উজ্জ্বল আগুনের বলয়। এ্যান্টার্কটিকা, স্পেন ও চিলির মতো পৃথিবীর নানা প্রান্তে বসানো আটটি রেডিও টেলিস্কোপের এক নেটওয়ার্ক দিয়ে এই ছবি তোলা সম্ভব হয়। এর আগে কোন ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা যায় নি - কারণ একক কোন টেলিস্কোপের এর ছবি তোলার ক্ষমতা নেই। এমএইটসেভেন নামে একটি বহুদূরবর্তী গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের মধ্যে এটি পাওয়া গেছে। এমএইটসেভেন গ্যালাক্সির একটি ছবি, এসব ছবি থেকেই ধারণা করা হয়েছিল যে এতে একটি ব্ল্যাক হোল আছে। পৃথিবী থেকে এই ব্ল্যাক হোল ৫০ কোটি ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে, এবং এটার ভর (এর মধ্যেকার পদার্থের পরিমাণ) সূর্যের চাইতে ৬৫০ কোটি গুণ বেশি। ব্ল্যাকহোলটি এতই বড় যে এটাকে একটা 'দানব' বলে বর্ণনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর উজ্জ্বলতা ওই ছায়াপথের সব তারা মিলে যত ঔজ্জ্বল্য হবে তার চাইতেও বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দানবাকৃতির এই ব্ল্যাক হোল পৃথিবী যে সৌরজগতের অংশ - তার চাইতেও বড়। এ মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত এর আয়তন ৪ হাজার কোটি কিলোমিটার - যা পৃথিবীর চাইতে ৩০ লক্ষ গুণ বড়। 'এ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স'-এ এই আবিষ্কারের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে মানুষের বোধ বাড়াতে সাহায্য করবে এই ছবি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পৃথিবীর আকাশে নজর এড়িয়ে যাওয়া বিশাল অগ্নিগোলক", "doc2": "La première photo d'un trou noir : il est entouré d'un halo de gaz brillant attiré par la gravité du trou. Il mesure 40 milliards de kilomètres de diamètre, soit trois millions de fois la taille de la Terre. Le trou noir a été décrit par les scientifiques comme \"un monstre\". Il se trouve à environ 50 millions d'années-lumière de la Terre et a été photographié par un réseau de huit télescopes à travers le monde. Lire aussi : L’Afrique du Sud se lance à la conquête spatiale La nuit du Nouvel An durera une seconde de plus Le réseau Event Horizon Horizon Telescope Les détails ont été publiés aujourd'hui dans la revue scientifique \"Astrophysical Journal Letters\".Le professeur Heino Falcke, de l'Université Radboud, aux Pays-Bas, qui a proposé l'expérience, a déclaré à BBC News que le trou noir avait été trouvé dans une galaxie appelée M87. \"Ce que nous voyons est plus grand que la taille de tout notre système solaire. Sa masse est de 6,5 milliards de fois celle du Soleil. Et nous pensons que c'est l'un des trous noirs les plus lourds qui puissent exister\", explique-t-il. \"C'est un monstre absolu, le champion poids lourd des trous noirs dans l'Univers\", ajoute le professeur Heino Falcke."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50204321", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50199842", "doc1": "দু'জনের চেহারার সাদৃশ্য সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল। এ ঘটনার ১৭ বছর পর, হঠাৎই সেই চুরি যাওয়া শিশুটি নিজের আসল পরিচয় আবিষ্কার করে বসে। কেপ টাউনের জাওয়ান্সউইক উচ্চ বিদ্যালয়ে সেটি ছিল মিশেই সলোমনের শেষ বর্ষ । আর সেই ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সেখানে ভর্তি হলো ক্যাসিডি নার্স, ���ে কিনা ১৭ বছরের মিশেই-এর ৩ বছরের ছোট। কিন্তু অবিকল প্রায় তার মতোই দেখতে। দু'জনের চেহারার সাদৃশ্য সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল। যদিও মিশেই সেটি নিয়ে তেমন একটা ভাবেনি। কিন্তু একদিন যখন দু'জনের একই করিডরে দেখা হলো তখন মিশেই হঠাৎ-ই তার প্রতি একধরনের ব্যাখ্যাতিত টান অনুভব করলো। \"আমার যেন মনে হয়েছিল যে আমি তাকে চিনতাম,\" সে বলেছিল, \"এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, কিন্তু জানি না কেন এমনটা অনুভব করছিলাম।\" বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও মিশেই এবং ক্যাসিডি এরপর থেকে একসাথে অনেকটা সময় কাটাতে শুরু করে। যখন কেউ তাদের জিজ্ঞাসা করতো যে তারা সম্পর্কে বোন কিনা তখন তারা রসিকতা করে বলতো, \"আমরা ঠিক জানি না- হয়তো অন্য জীবনে ছিলাম!\" তারপর একদিন এই দুই মেয়ে একটি সেলফি তুললো এবং সেটি সবাইকে দেখালো। মিশেই-এর মা লাভোনা- যে তার মেয়েকে ডাকতেন 'প্রিন্সেস' বলে এবং বিভিন্ন জায়গায় সাথে করে নিয়ে যেতেন, তিনি বললেন যে দুটি মেয়ের চেহারাই একরকম। মিশেই এর বাবা মাইকেল জানালেন যে, তিনি তার মেয়ের বন্ধুটিকে চিনেছেন, তার বাবার একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। কিন্তু ক্যাসিডির বাবা-মা'এর প্রতিক্রিয়া হলো ভিন্ন। তারা তীব্র দৃষ্টি তাকিয়ে ছিল ছবিটির দিকে। তারা ক্যাসিডিকে জানালেন যে মিশেই-এর কাছে তাদের একটি প্রশ্ন আছে। যখন মেয়ে দুটোর আবার দেখা হলো তখন ক্যাসিডি জানতে চাইলো, \"তোমার জন্ম কি ১৯৯৭ এর ৩০ এপ্রিল?\" মিশেই অবাক হলেও পরে স্বীকার করে যে সেটিই ছিল তার জন্মদিন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মার্কিন সেনাদের গুলিতে নয়, আত্মঘাতী হলেন বাগদাদি ঈগল যেভাবে বাড়িয়ে দিলো বিজ্ঞানীর ফোন বিল 'মার্ডার করিনি, চুরিও না - কাজ করে খেতে এসেছি' 'মার্ডার করিনি, চুরিও না - কাজ করে খেতে এসেছি' ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? মিশেই সলোমন সপ্তাহখানেক পর, অংক ক্লাশ থেকে মিশেইকে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে দু'জন সমাজকর্মী অপেক্ষায় ছিলেন। তারা মিশেইকে ১৭ বছর আগে কেপটাউনের এক হাসপাতাল থেকে জেফানি নার্স নামে ৩ দিন বয়সী এক শিশু অপহরণের গল্প বলেন। যে শিশুটির খোঁজ পরে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা কেন মিশেই কে বলা হচ্ছে তা সে জানতে চায়। তখন সমাজকর্মীরা বলেন যে, তাদের কাছে এমনকিছু প্রমাণ এসেছে যে তাদের ধারনা হয়েছে মিশেই সেই হারিয়ে যাওয়া শিশু। মিশে�� তখন তাদের বলেছিল যে, সমাজকর্মীরা যে হাসপাতালের কথা বলছেন তার জন্ম সেখানে নয়, তার জন্ম সনদেই তা উল্লেখ আছে। কিন্তু সমাজকর্মীরা জানালেন যে উল্লেখিত হাসপাতালে তার জন্মের কোনো উল্লেখ নেই। মিশেই-এর তখনো ধারনা ছিল যে কোথাও কোনো বড় ভুল রয়েছে, আর তাই সে ডিএনএ টেস্টে রাজি হয়। কিন্তু তার আশানুরূপ ফল মেলেনি। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত হয়, ১৯৯৭ সালে গ্রুট শুর হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া জাফনি নার্স এবং মিশেই সলোমন একই ব্যক্তি। চুরি যাওয়া শিশুটি এবং যৌবনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো তরুণীর গল্প প্রায় দুই দশক পর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পুরো বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। আর মিশেই-এর জীবনও বদলে যায় তখনই। ১৮ বছর হতে তখন তার ৩ মাস বাকি, তাকে বলা হয়েছিল তার আগ পর্যন্ত সে একটি সেফ হোমে থাকবে। এরপর সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় যাবে। এ সময় মিশেই আরো কষ্টকর খবর পেয়েছিল। লাভোনা সলোমন, যে নারীকে মা হিসেবে বিশ্বাস করে সে বড় হয়েছে- তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিশেই বলে, \"এটি আমাকে মুষড়ে দেয়। তাকে আমার অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসার ছিল, কেন? কী হচ্ছে?\" লাভোনা সলমনের সাথে নবজাতক মিশে তবে লাভোনার স্বামী মাইকেল- যাকে মিশেই এতদিন বাবা বলে জেনেছে, তাকে যখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন মিশেই সেখানে ছিল। \"তার মুখে যন্ত্রণার ছাপ দেখেছি, চোখে যেন রক্তক্ষরণ। আমি সত্যিই ভয় পেয়ে যাই,\" মিশেই বলে। মাইকেল বিস্মিত হয়ে মিশেই কে তার নিজের মেয়ে বলেই দাবি করেছিল। মিশেই কে তার জৈবিক বাবা-মা'এর কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া আনা হয়েছে এটি মাইকেল জানতেন না। সে পুলিশকে বলে যে, লাভোনা সে সময় গর্ভবতী হয়েছিল। কিন্তু পরে সে গর্ভপাতের ঘটনা লুকিয়ে রেখে হাসপাতাল থেকে জেফানি নার্সকে চুরি করে এনে নিজের সন্তান বলে দাবি করে। যদিও সেলেস্টে এবং মরণে নার্স দম্পতির এরপর তিনটি সন্তান জন্ম নেন, তারপরও তারা তাদের চুরি যাওয়া প্রথম সন্তান জেফানির খোঁজ কখনো ছাড়েননি। প্রতিবছরই তারা তার জন্মদিনটি পালন করতেন এমনকি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবার পরও। তবে তাদের চুরি যাওয়া শিশু বেশ কাছাকাছিই বড় হয়েছে। সলোমনদের বাসা নার্সদের বাসা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। এখন, এক অসাধারণ ঘটনাক্রমে নার্স পরিবারের প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছে। সমাজকর্মীরা মিশেই কে একটি থানায় পুলিশের সামনে তার প্রকৃত বাবা-মা এর কাছে হস্তান্তর করে। \"তারা আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল, চেপে ধরে কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু কেন যেন আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম না। কি যেন একটা ঠিক ছিল না বলে মনে হয়েছে,\" বলছিল মিশেই। তার ভাষ্যমতে বিষয়টি দুঃখজনক হলেও আমার মনে হয়নি যে আমি আমার আসল বাবা-মা'কে কখনো অনুভব করতে পেরেছি। মিশেই তখন একধরনের মানসিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। যে বাবা-মা'এর তার হারিয়ে যাওয়া সময়কে পুষিয়ে দিতে মরিয়া- কিন্তু আসলে তারা মিশেই-এর কাছে অপরিচিত। আর অন্য যাদের সে সত্যিই ভালবেসেছিল- তারা বিধ্বস্ত এবং কারাগার সেখানে ছিল একটি বড় বাধা। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কেপ টাউন হাইকোর্টে লাভোনার বিচার শুরু হয়। আট মাস বয়সী মিশের সাথে মাইকেল বিচারকালীন সময়ে সে নিজের অন্যায়কে অস্বীকার করে। বলে যে সে বারবার গর্ভপাতের স্বীকার হবার পর একটি শিশুকে দত্তক নেবার ব্যাপারে মরিয়া হয়ে ওঠে। সে সময় সিলভিয়া নামের একজন তাকে একটি শিশু দেবার ব্যাপারে জানায়। তবে সিলভিয়ার কোনো অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি। এরপর, প্রায় দুই দশক পরেও একজন মহিলা সাক্ষী দেন। তিনি মনে করতে পারেন যে, সেবিকার পোশাক পরিহিত এক নারী ঘুমন্ত সেলেস্টের পাশ থেকে একটি শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিনি লাভোনাকে সনাক্তও করেন। ফলে লাভোনার বিরুদ্ধে সকল প্রমাণই আদালত গ্রহণ করে। অপহরণ, জালিয়াতি ও শিশু আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৬ সালে লাভোনা সলোমনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। মিশেই-এর তখন মনে হয়েছিল যেন তারও মৃত্যু হয়েছে। কেননা যাকে সে এতদিন মা হিসেবে জেনেছে, তাকে ছাড়া তার পক্ষে কিভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব- এমনটাই ছিল তার অনুভূতি। সে বছরের শেষের দিকে মিশেই জেলখানায় লাভোনার সাথে দেখা করতে আসে। স্কুলে সমাজকর্মীদের আসার পর এই প্রথম দেখা হয় দু'জনের। \"সেটা ছিল একটি জানালার ভেতর দিয়ে কথা বলার সুযোগ। আর যখন আমি আমার মা'কে কয়েদীদের পোশাকে দেখলাম, কান্না থামিয়ে রাখতে পারিনি।\" মিশেই লাভোনার কাছে সেদিন সত্যটি জানতে চেয়েছিল। কেন সে তাকে হাসপাতাল থেকে এনেছিল। মিশেই-এর বহু প্রশ্নের জবাবে লাভোনা তাকে কেবল বলেছিল যে, একদিন সে তাকে সবকিছু বলবে। যাই হোক মিশেই কোনো ক্ষোভ পুষে রাখেনি। লাভোনা সলমন (মুখ ঢাকা) আদালতে \"ক্ষমা করলে আসলে হৃদয় শান্ত হয়। জীবন থেমে থাকেনা। সে জানে যে আমি তাকে ক্ষমা করেছি এবং এখ���ো তাকেই ভালোবাসি,\" মিশেই বলে। নিজের আসল পরিচয় আবিষ্কারের চার বছরের বেশী হয়ে গেছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলের শেষে যখন তার বয়স ১৮ বছর হয়, তখন সে তার প্রকৃত বাবা-মা'এর কাছে ফিরে যাবার কথা ভেবেছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিপরীত। \"তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়, পারিবারিক বন্ধন এলোমেলো হয়ে পরে,\" মিশেই জানায়। আর তারপর সে সুস্পষ্টভাবে নিজের স্থিতিশীলতার কথা ভেবে মাইকেল- তার আগের বাবা'র কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সেটিই ছিল তার জন্যে নিরাপদ স্থান, তার প্রকৃত বাড়ি। মিশেই তার আসল পরিবারের সাথে সম্পর্ক ধরে রাখতে বেশ সংগ্রামই করেছে। সে এখনো লাভোনার সাথে জেলখানায় দেখা করতে ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসে। মিশেই এর নিজেরই এখন দুটো সন্তান রয়েছে। লাভোনা সলোমনের মুক্তি পেতে আরো ছয় বছর সময় বাকী। মিশেই বলে যে, সে প্রায়শই চায় যেন সময়টি 'তাড়াতাড়ি' শেষ হয়ে যায়। সে তার 'মা'-এর বাড়ি ফেরার জন্যে অপেক্ষায় আছে। আশ্চর্যজনকভাবে তার জন্মের সময়ের নাম 'জেফানি' আর 'মিশেই' নামের মধ্যে পরবর্তী নামটি বেছে নিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যে নারী তাকে আসলে চুরি করে এনেছিল, ভালোবাসা দিয়ে সেই তাকে জয় করে নিয়েছে।", "doc2": "Les résultats des tests ADN prouvent incontestablement que Miché Solomon et Zephany Nurse, le bébé enlevé à l'hôpital Groote Schuur en 1997, étaient la même personne. Et ce jour de janvier 2015, Miché était entourée d'autres élèves qui lui parlaient avec enthousiasme de la nouvelle fille, Cassidy Nurse, qui avait trois ans de moins qu'elle et lui ressemblait. Au début, Miché n'y croyait pas beaucoup. Mais quand les deux filles se sont rencontrées plus tard dans le couloir, Miché dit qu'elle a senti une connexion instantanée qu'elle ne pouvait expliquer. \"J'avais presque l'impression de la connaître. C'était si effrayant, je ne comprenais pas pourquoi je me sentais comme ça\", dit-elle. Malgré la différence d'âge, Miché et Cassidy ont commencé à passer beaucoup de temps ensemble, se considérant comme des sœurs. Miché Solomon aujourd'hui Quand on demandait à Miché et Cassidy si elles étaient des sœurs, elles plaisantaient : \"On ne sait pas - peut-être dans une autre vie !\" Puis un jour, les deux filles prennent un selfie ensemble et le montrent à leurs amies. Certains ont demandé à Miché si elle était sûre qu'elle n'avait pas été adoptée. \"Non ! Ne soyez pas folles !\" leur répondit-elle, avec insistance. Miché et Cassidy, rentrées chez elles, montrent la photo à leur famille. Lavona, la mère de Miché, qui appelait sa fille \"Princesse\" et l'emmenait au centre commercial et au cinéma, a dit à quel point les deux filles se ressemblaient. Lire aussi sur BBC Afrique Michael, le père de Miché, affirme avoir reconnu la nouvelle amie de sa fille - le père de Cassidy avait un magasin d'électricité où il se rendait parfois pour faire ses courses. Mais les parents de Cassidy, Celeste et Morne Nurse, ont regardé intensément la photo. Ils ont dit à Cassidy qu'ils avaient une question pour Miché. Et lorsque les deux filles ont rencontré Cassidy, elle a répondu : \"Êtes-vous né le 30 avril 1997 ?\" Et Miché a demandé pourquoi la question était posée. Et Cassidy d'assurer à Miché qu'elle ne la harcelait pas, qu'elle voulait juste savoir quand elle était née. Et Miché a répondu qu'était née le 30 avril 1997. \"J'étais assise là, en état de choc\" Quelques semaines plus tard, Miché a été convoquée au bureau du proviseur du lycée, où deux travailleurs sociaux l'attendaient. Ils ont raconté à Miché l'histoire d'une petite fille de trois jours, Zephany Nurse, qui avait été enlevée à l'hôpital Groote Schuur de Cape Town, 17 ans auparavant. Une fille qui n'avait jamais été retrouvée. Miché a écouté le déroulement de l'histoire, se demandant pourquoi ils lui racontaient cela. Ensuite, les travailleurs sociaux ont expliqué qu'il y avait des preuves suggérant qu'elle pourrait être l'enfant enlevé il y a 17 ans. Lire aussi : Pour mettre les choses au clair, Miché a expliqué qu'elle n'était pas née à l'hôpital Groote Schuur, mais dans un autre hôpital situé à environ 20 minutes de voiture du Cap. C'est ce qu'il y avait sur son certificat de naissance, dit-elle. Mais les travailleurs sociaux ont répondu qu'il n'y avait aucune trace de sa naissance sur la pièce d'état civil. Lavona Solomon photographiée à la maison avec le nouveau-né Miché Estimant toujours que tout cela doit être une terrible erreur, Miché a accepté un test ADN. \"J'avais tellement confiance en la mère qui m'a élevée. Elle ne me mentirait jamais, surtout sur qui je suis et d'où je viens. J'ai donc décidé que le test ADN serait négatif\", dit Miché. Mais les choses ne se sont pas passées comme elle l'espérait. Les résultats des tests sont sortis le lendemain et ont prouvé incontestablement que Miché Solomon et Zephany Nurse, le bébé enlevé à l'hôpital Groote Schuur en 1997, étaient la même personne. \"J'étais assise là, en état de choc. Ma vie était hors de contrôle\", dit Miché. L'histoire du bébé volé, devenu aujourd'hui une jeune femme au bord de l'âge adulte, retrouvée par hasard près de deux décennies plus tard, a fait la une des journaux en Afrique du Sud et dans le monde. Ce qui a changé immédiatement la vie de Miché. On lui a dit qu'elle ne pourrait pas rentrer chez elle - il lui faudrait encore trois mois pour atteindre 18 ans et pouvoir légalement prendre ses propres décisions. En attendant, elle devait rester en planque. Puis Miché a reçu des nouvelles plus dévastatrices. Lavona Solomon, la femme qu'elle croyait être sa mère, a été arrêtée. \"Ça m'a brisée. J'avais besoin d'elle. J'avais besoin de lui demander : \"Pourquoi ? Que se passe-t-il ?\" J'étais si bouleversée que je n'étais plus la même\", se souvient-elle. Miché, huit mois, avec Michael, qui passait depuis 17 ans pour son père. Miché était présente lorsque le mari de Lavona, Michael - l'homme qu'elle considérait comme son père - a été interrogé par la police. \"Je pouvais voir le stress qu'il y avait sur son visage, je pouvais voir le sang dans ses yeux et j'avais vraiment peur\", dit Miché. La police voulait savoir si l'homme avait pris part au vol du bébé. \"Mon père est doux et il est doux. Mais c'est mon roc, c'est mon héros, c'est mon père (…). Mon père a dit : 'Non, je n'ai pas fait ça. Miché est ma fille - comment ne pourrait-elle pas être ma fille ? Je ne faisais pas partie de tout ça.'\" Lire aussi : Il trouve femme sur Facebook Ils simulent leur mariage sur facebook La police n'a jamais obtenu la preuve que Michael Solomon savait que Miché avait été volée à ses parents biologiques. M. Solomon a donc été libéré. Il soutient que Lavona était enceinte. On pense qu'elle a caché une fausse couche et a ensuite simulé le reste de sa grossesse, avant de voler Zephany Nurse, de la ramener chez elle et de prétendre qu'elle avait donné naissance au bébé. \"Ils m'ont serrée dans leurs bras et se sont mis à pleurer\" Lavona Solomon, elle, a été placée en garde à vue, en attente de son procès pour enlèvement d'enfant. Il lui est également reproché d'avoir frauduleusement prétendu être la mère de Miché. Celeste Nurse (à gauche) et son deuxième enfant, Cassidy. Bien que Celeste et Morne Nurse aient eu trois autres enfants, ils n'avaient jamais cessé de chercher leur premier-né, Zephany. Ils célébraient son anniversaire chaque année - même après leur divorce. Mais pendant tout ce temps, leur enfant volé grandissait non loin d'eux. La maison des Salomon n'est qu'à cinq km de celle des infirmières qui ont assisté sa mère lors de l'accouchement. La petite Miché courait sur le terrain en face de la maison des infirmières, tandis que Michael Solomon jouait au soccer. Lire aussi : Par coïncidence, elle va retrouver sa mère Maintenant, Miché a été réunie avec ses parents biologiques dans un poste de police, en présence de travailleurs sociaux. \"Ils m'ont serrée dans leurs bras et se sont mis à pleurer\", dit Miché avec gêne. Ses parents étaient ravis de rattraper le temps perdu. Mais ils passaient pour des étrangers pour elle. Les autres - qu'elle a toujours aimés, Michael et Lavona Solomon - étaient dévastés. Mme Solomon, elle, étant derrière les barreaux. Lavona Solomon (le visage couvert) arrive à la Haute Cour du Cap pendant son procès. Le procès de Lavona Solomon devant la Haute Cour du Cap a débuté en août 2015. Miché et ses parents biologiques étaient là pour entendre le témoignage de Lavona. Tout au long du procès, Lavona Solomon a nié tout acte répréhensible. Elle a raconté à la cour ses nombreuses fausses couches et son désespoir d'adopter un enfant. \"Je crois que je détestais Zephany au début\" Lavona a ensuite dit qu'une femme du nom de Sylvia lui avait offert un bébé et lui avait administré un traitement contre la fertilité. Sylvia avait dit à Lavona que le bébé appartenait à une jeune fille, qui n'avait pas l'intention de le garder et voulait que le bébé soit adopté. Mais il n'y avait aucune preuve de l'existence de Sylvia. En plus, près de deux décennies après l'incident, un témoin se souvient d'avoir vu la femme déguisée en infirmière pour emmener le bébé Zephany, au moment où Celeste dormait. Le juge a conclu que la preuve contre elle était accablante. En 2016, Lavona Solomon a été condamnée à 10 ans de prison pour enlèvement, fraude et violation de la loi sur les enfants. Le juge lui a reproché de n'avoir montré aucun remords pendant le procès. Morne Nurse, le père biologique de Zephany, quitte le tribunal après le verdict de culpabilité. \"J'avais l'impression de subir la mort, me demandant comment j'allais m'en sortir. Comment vais-je vivre ma vie sans la mère que j'ai eue tous les jours de ma vie ?\" raconte Miché. Plus tard dans l'année, elle a rendu visite à Lavona en prison et a pu lui parler pour la première fois depuis l'arrivée des travailleurs sociaux à son école. \"La première visite s'est passée derrière une fenêtre, ce n'était pas une visite de contact. Et j'ai vu ma mère dans les vêtements que portent les détenues, ça m'a brisé le cœur. J'ai pleuré…\" poursuit-elle. Miché voulait vraiment connaître la vérité, savoir ce qui s'est passé le jour où Lavona l'avait enlevée à sa mère à l'hôpital. Miché dira que l'attitude de Lavona lui a \"fait mal\", tout en précisant n'avoir pas de rancœur pour elle. Michael, avec la fille de Miché, rend visite à Lavona en prison. \"Pardonner apporte tant de guérison dans votre cœur, la vie doit continuer. Elle sait que je lui pardonne, et elle sait que je l'aime toujours\", dit-elle, parlant de celle qui prétendait être sa mère pendant près de 20 ans. Cela fait maintenant plus de quatre ans que Miché découvre la vérité sur son identité. Fin avril 2015, à l'âge de 18 ans, elle envisageait d'emménager chez l'un de ses parents biologiques, mais elle y a renoncé. \"Ils étaient divorcés, cette unité familiale avait été perturbée, poursuit Miché. Alors j'ai pris la décision la plus évidente et la plus stable : retourner vivre avec Michael, c'était mon endroit sûr, c'était ma maison.\" Elle a eu du mal à nouer une relation avec sa famille biologique et dit qu'elle avait même parfois l'impression qu'elle les détestait parce qu'ils lui avaient enlevé sa \"mère\". Elle rend toujours visite Lavona en prison, à Worcester, à environ 120 km de chez elle. \"Appelez-moi Zephany ou Miché, c'est bon\" Lavona Solomon doit être libérée dans six ans, et Miché dit qu'elle souhaite souvent que le temps s'écoule vite. Elle vit toujours dans la maison familiale et attend le retour de sa mère. Étonnamment, Miché Solomon a choisi de garder le nom avec lequel elle a été élevée plutôt que son nom de sa naissance. Mais d'une manière ou d'une autre, malgré la catastrophe psychologique de découvrir que la femme qui l'a élevée l'avait effectivement volée, elle a en quelque sorte fait la paix avec ses deux identités. \"Je crois que je détestais Zephany au début. Elle est venue avec une telle force (…), tant de souffrance et tant de douleur. Mais Zephany est la vérité, et Miché, la fille de 17 ans que j'étais, c'était un mensonge. J'ai donc réussi à équilibrer les deux noms. Appelez-moi Zephany ou Miché, c'est bon.\" L'histoire de Miché est racontée dans le livre ''Zephany : Deux mères. Une fille par Joanne Jowell''"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50443404", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50403929", "doc1": "২৬ বছরের লুসির সঙ্গে যখন তার তৎকালীন ছেলে বন্ধুর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, তিনি নিজেকে যুক্তরাজ্যের অন্যতম 'লুকায়িত আবাসন' ব্যবস্থার মধ্যে আটকে পড়েছেন বলে দেখতে পান। এটি হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একজন তার বাসা বদলাতে পারেন না। লুসি যখন তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে লন্ডনের একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন, তখন তাকে ছয়মাসের জন্য চুক্তি করতে হয়েছিল। সে সময় তাদের বেশকিছু পাউন্ড ডিপোজিট দিতে হয়। সেই ডিপোজিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও আরো তিন মাস ধরে দুজনকে সেই বাসাতেই থাকতে হয়েছে। বাসায় সোফা-কাম-বিছানা ছিল একটি, যেটি তাদের দুজনকেই শেয়ার করতে হতো। লুসির জীবনে এরকম ঘটনা আরো একবার ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের বাসা সংক্রান্ত একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে একই বাসায় আটকে পড়ার ঘটনা যুক্তরাজ্যে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরো পড়ুন: যেভাবে হৃদয় ভঙ্গের বেদনা সামলাতে পারেন কীভাবে গড়ে তুলবেন, ধরে রাখবেন দু'জনের সম্পর্ক? সামাজিক মাধ্যমে প্রেম-বিয়ে-সম্পর্ক; মেয়েদের কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে? বিয়েতে কি শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই হবে? যুক্তরাজ্যের বাসা সংক্রান্ত একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে একই বাসায় আটকে পড়ার ঘটনা যুক্তরাজ্যে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেল্টার নামের ওই সংস্থাটি বিবিসি থ্রিকে জানিয়েছে, তারা অনেক সময়েই ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে শুনতে পান যে, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরে মানসিক কষ্টের মধ্যেও আইন ও অর্থনৈতিক কারণে তারা বাসা ছাড়তে পারেন না। ''অনেক মানুষ সামর্থ্যের কারণে যেমন নিজেদের জন্য নতুন বাসা খুঁজে নিতে পারেন না, আবার মেয়াদি চুক্তির কারণেও তাদের পক্ষে নতুন ঠিকানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না,'' বলছেন দাতব্য সংস্থা শেল্টারের প্রথম নির্বাহী পল নিয়েট। ন্যাশনাল হাউজিং ফেডারেশনের সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে লুসির মতো প্রায় ২৫ লাখ ব্রিটিশ এরকম লুকায়িত আবাসনের মধ্যে রয়েছে, যারা তাদের শেয়ার করা বাড়ি ছাড়তে পারছে না, বা অভিভাবকদের কাছে যেতে পারছে না অথবা সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আঠারো বছর আগে তরুণরা যতটা সম্পদশালী ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক দরিদ্র হয়েছে। লুসির কাহিনী পরিবারের সঙ্গে বর্নমাউথে বসবাস করতেন লুসি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হওয়ার পরে ছেলে বন্ধুর সঙ্গে একটি বাসায় একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন। সে সময় লন্ডনের ফ্যাশন শিল্পে তিনি চাকরি খুঁজছিলেন। ''আমি তার সঙ্গে একত্রে থাকতে শুরু করি কারণ আমিও সেটা চাইছিলাম-কিন্তু এর বাইরে অর্থনৈতিক ব্যাপারও ছিল যে, খরচগুলো তার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়া। কারণ লন্ডনে আমি তখন কম বেতনে চাকরি শুরু করতে যাচ্��িলাম।'' লুসির সে সময়ে মাসিক আয় ছিল ১৮০০ পাউন্ডের কিছু বেশি আর তিনি বাসা ভাড়া ও বিল বাবদ দিতেন ৮০০ পাউন্ড। কিন্তু সেই সময়েই তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি সম্পর্কের অবসান চাইছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাবরি মসজিদ রায়ে মুসলমানরা 'সুবিচার পায় নি' পশ্চিমা প্লাস্টিক দূষিত করছে ইন্দোনেশিয়ার খাবার ক্যান্সার চিকিৎসার সময় যেসব খাবার নিষেধ কীভাবে উদঘাটিত হলো ত্রিশ বছর আগের হত্যা রহস্য ''প্রথমবারের মতো আমরা দুইজন একত্রে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলাম। যখন আলাদাভাবে থাকা হয়, তখন আসলে সম্পর্কের জটিলতাগুলো বোঝা যায় না।'' কিন্তু সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও আরো তিনমাস তাদের দুজনকে একত্রে এক বাসায় থাকতে হয়। সেখানে এমনকি তাদের একই বিছানায় ঘুমাতে হয়, যা ছিল দুজনের জন্যই একটি কঠিন ব্যাপার। ''আমাদের একটা সোফা ছিল, যেটা আবার বড় করে নিলে বিছানা হিসাবেও ব্যবহার করা হতো। আমরা পালাক্রমে সেখানে ঘুমাতাম। কিন্তু কখনো কখনো এমন সময় আসতো যে, দুজনেরই ঘুম দরকার। তখন আমাদের একসঙ্গে ঘুমাতে হতো। তবে খানিকটা স্বাধীনতার জন্য আমরা মাঝে একটা বালিশ দিয়ে রাখতাম।'' ''যতদিন আমাকে বাসা ভাড়া দিতে হবে, ততদিন আমি সেখানে থাকবো। আমার সেখানে থাকার সব অধিকার আছে।'' শেল্টার নামের ওই সংস্থাটি বিবিসি থ্রিকে জানিয়েছে, তারা অনেক সময়েই ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে শুনতে পান যে, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পরে মানসিক কষ্টের মধ্যেও আইন ও অর্থনৈতিক কারণে তারা বাসা ছাড়তে পারেন না। যদিও বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু এই বাসাটি তার কর্মক্ষেত্রের কাছে এবং সেখানে তার নিজের মাল-সামানও ছিল। ''আমি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতাম। হয়তো জোর করে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতাম, বাসায় অ্যালকোহল পান করতাম না, সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে হয়তো একত্রে টিভি দেখতাম। আমরা দুজনেই ছিলাম যেন হেটে চলে বেড়ানো মৃত মানুষের মতো।'' এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর লুসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি আর কখনোই কারো সঙ্গে থাকতে যাবেন না। ''একবারের অভিজ্ঞতাই এতটা ভয়াবহ ছিল যে, আমি নিজেকে বললাম, আর কোন সঙ্গীর সঙ্গে আর একত্রে থাকতে যাবো না।'' কিন্তু ২০১৮ সালে নতুন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে একত্রে থাকতে শুরু করার পর আবার প্রায় একই রকম পরিস্থিতিতে নিজেকে দেখতে পান লুসি। ''আমার মধ্যে অস্বস্তি থাকলেও, তার সঙ্গে একত্রে থাকাটা বেশ সুবিধাজনক এবং কম খরচের বলে মনে হলো। বিশেষ করে আমাদের অন্য মানুষজনের সঙ্গে থাকতে হবে না, যাদের কারণে আমাদের জীবন কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং আমি নতুন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে থাকতে শুরু করলাম।'' কিন্তু এই সম্পর্ক যখন শেষ হয়ে গেল, এই যুগল অবশ্য ডিপোজিটের মায়া না করে তাদের সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। লুসি বর্নমাউথে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করলেন। লুসি বলছিলেন, আবাসন খাতের এই পরিস্থিতি তার 'মানসিক, শারীরিক আর অর্থনৈতিকভাবে' ভোগান্তির কারণ হয়েছে। ''আমি মনে করি, পুরো ব্যাপারটি অস্বস্তি আর লজ্জার। আবাসনের এরকম পরিস্থিতিতে পড়ার পরেও একজন তরুণীর কোথাও যাবার সুযোগ থাকে না আর ভেঙ্গে পড়া একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকলে যেন সেই ব্যর্থতাকেই মেনে নেয়া হয়,'' লুসি বলছিলেন।", "doc2": "\"La génération de nos parents restait ensemble pour les enfants. Les nôtres restent ensemble pour partager le loyer.\" Lorsque Lucy, 26 ans, a rompu avec son petit ami, elle s'est retrouvée dans ce qu'on appelle \" ménage caché \" au Royaume-Uni. Elle avait signé un bail à durée déterminée pour un appartement à Londres avec son petit ami, mais elle a dû rester avec lui jusqu'à ce qu'elle atteigne la clause d'interruption de six mois pour qu'ils puissent récupérer leur caution. Lire aussi: Ils dormaient sur le même lit... Et à cause de l'espace limité, il y avait des moments où ils devaient dormir dans le même lit. Vous pouvez lire l'histoire complète de ce qui lui est arrivé - deux fois - ci-dessous. Être piégé dans une location avec un ex est un problème courant, selon un organisme caritatif britannique de premier plan dans le domaine du logement. La directrice de l'organisme \"Housing and homelessness charity Shelter\" a déclaré à BBC qu'elle entend souvent parler de locataires qui \" se débattent avec les conséquences émotionnelles d'une rupture conjugale et le stress juridique et financier de ne pas pouvoir quitter leur location privée \". On pense que 2,5 millions de Britanniques comme Lucy vivent dans des ménages cachés \"Beaucoup de gens n'ont pas les moyens de déménager seuls, ou bien leur contrat à durée déterminée les empêche de le faire \", explique Polly Neate, directrice générale de l'organisme. On pense que 2,5 millions de Britanniques comme Lucy vivent dans des ménages cachés - des gens qui n'ont pas les moyens de déménager de leur maison ou de celle de leurs parents - ou des gens qui vivent avec un ex-partenaire. C'est ce que révèle une étude récente de la National Housing Federation, menée par l'Université Heriot-Watt à partir des données de l'enquête annuelle \"Understanding Society\" (Comprendre la société) menée auprès de 40 000 personnes par l'Université d'Essex. Vous pourrez aussi être intéressé par: Selon une autre étude, les jeunes sont aujourd'hui plus pauvres qu'ils ne l'auraient été il y a 18 ans en raison de l'augmentation du coût du logement. Selon une étude de la Resolution Foundation publiée en juin, les 18 à 29 ans d'aujourd'hui sont 7 % plus pauvres en termes réels que ne l'étaient leurs pairs en 2001. Georgie Laming de \"Generation Rent\" dit à BBC qu'il n'est pas surprenant que certains jeunes soient si prompts à emménager avec leurs partenaires. Vous pourrez aussi être intéressé par: \"Partager le coût d'une chambre ou d'un appartement est souvent l'un des seuls moyens de trouver une maison privée et confortable où l'on peut se sentir chez soi \", dit-elle. Comme l'a dit une personne sur Twitter : \"la génération de nos parents restait ensemble pour les enfants. Les nôtres restent ensemble pour partager le loyer.\" L'histoire de Lucy \"...On a même dû faire un mur d'oreiller entre nous pour garder une sorte d'indépendance.\" Lucy, qui vit maintenant avec sa famille à Bournemouth, a emménagé avec son petit ami après l'université. Ils vivaient ensemble dans diverses maisons en colocation pendant qu'elle essayait de trouver du travail dans l'industrie de la mode londonienne jusqu'à ce qu'ils trouvent un endroit qu'ils pouvaient se permettre de louer pour eux-mêmes. \"J'ai emménagé avec lui parce que je le voulais - mais aussi parce qu'il était logique financièrement de partager les coûts avec lui pendant que j'allais commencer à travailler à Londres sur des emplois mal payés. Si un studio avait été une option sur mon salaire, j'aurais préféré ça.\" Lucy - qui gagnait alors environ 22 000 £ (16.827.937 FCFA)- payait 800 £ (611.925 FCFA) par mois en loyer et en factures. \"L'argent était très serré. Ça a toujours été un défi.\" Lire aussi: Malheureusement, c'est à ce moment qu'elle a réalisé qu'elle voulait mettre fin à tout ça. \"C'était la première fois que nous vivions seuls tous les deux ensemble et je ne pense pas avoir vraiment vu l'ampleur des problèmes dans notre relation quand nous vivions avec les autres. Lucy a dû vivre avec son ex pendant encore trois mois après la séparation. \"Je n'avais pas l'argent nécessaire pour partir et trouver un nouvel endroit et je devais attendre pour récupérer mon dépôt \", explique-t-elle. \"Il y a eu une période après notre rupture où nous avons dû partager le lit, ce qui a été particulièrement difficile. C'est devenu très toxique. \"Nous avions un canapé qui s'est transformé en canapé-lit sur lequel nous dormions à tour de rôle - mais ce n'était pas très confortable, donc il y avait des moments où nous voulions tous deux le lit. On a même dû faire un mur d'oreiller entre nous pour garder une sorte d'indépendance.\" Lire aussi: Lucy se décrit comme \"têtue\" : \"J'étais catégorique sur le fait que je resterais pendant que je payais l'appartement. J'avais tous les droits d'y être.\" Lucy, qui travaille maintenant comme rédactrice pigiste et arrondit ses fins de mois en travaillant au bar et au café, a eu recours à certaines tactiques pour maintenir la paix pendant qu'elle vivait avec son ex. \"J'ai dû apprendre les mécanismes d'adaptation parce qu'on ne peut pas être en mode combat ou fuite tout le temps. J'ai dû trouver un peu de calme et des moyens de gérer une situation difficile - comme rester délibérément en groupe avec d'autres amis, éviter de boire de l'alcool à la maison et faire des choses avec mon ex comme regarder la télé ensemble.\" Lucy a fini par compter sur le soutien financier de sa famille pour l'aider à déménager. Lire aussi: \"Après ma première expérience, j'ai été complètement découragée d'emménager de nouveau avec quelqu'un \", dit Lucy. \"C'était si traumatisant d'avoir vécu ça une fois et j'ai dit que je ne vivrais plus jamais avec un partenaire. Catégoriquement, non.\" Mais en 2018, Lucy s'est retrouvée dans une situation presque identique après avoir emménagé dans un appartement à Walthamstow dans le nord de Londres avec un nouveau petit ami. \"Aussi hésitant que j'aie été, il s'est avéré plus pratique et moins cher de vivre ensemble - et nous n'avions pas à vivre avec d'autres personnes qui pouvaient rendre notre vie difficile - alors j'ai essayé de vivre avec cet autre petit ami.\" Cette vidéo aussi peut vous intéresser : Rent Après la fin de cette relation, le couple a décidé de quitter la propriété et d'abandonner le dépôt - et Lucy est retournée vivre à Bournemouth avec ses parents. Lucy dit que son expérience du marché du logement l'a \" épuisée sur les plans émotif, physique et financier \". \"Je pense qu'il y a aussi beaucoup de honte à cela \", dit-elle. \"Embarras et honte. C'est si difficile d'arriver à quelque chose quand on est jeune, alors si on ne parvient pas à gagner sa vie et à établir une relation, on peut avoir l'impression de connaître un échec.\" A regarder aussi: Affronter un zébu pour trouver l’amour Vos droits et conseils en matière de location Le soutien juridique dans ces situations peut être très limité, dit Georgie Laming, mais il existe des groupes qui soutiennent les locataires dans des conditions de logement complexes, y compris Citizens Advice, au Royaume Uni. \"Les syndicats de locataires comme London Renters Union, ACORN et Living Rent soutiennent les locataires par l'intermédiaire de groupes Facebook, qu'il s'agisse de leur laisser un appartement en colocation ou de récupérer leur dépôt \", ajoute-t-elle. Tessa Shepperson, une avocate spécialisée en droit de la location et de l'immobilier qui tient un blog d'information sur le marché locatif britannique, explique à BBC que les jeunes doivent être conscients de la délicatesse des contrats de location conjointe et pense que l'éducation sur la location devrait être dispensée dans les écoles. \"Tout d'abord, les gens doivent se rendre compte que lorsqu'ils signent un contrat de location, il s'agit d'un accord juridique contraignant sérieux. Les gens ont tendance à être un peu enthousiastes à ce sujet.\" Lire aussi : Plaire à coups de fouet Mais si quelqu'un est déjà dans une location conjointe et veut partir, Tessa dit que la situation pourrait être délicate. \"La meilleure façon pour quelqu'un de s'en sortir est de trouver quelqu'un pour prendre leur place et de voir s'il peut convaincre le propriétaire d'accepter une nouvelle location. Ou si une partie est prête à payer tout le loyer, c'est peut-être quelque chose qu'on peut faire.\" Ou si le contrat est une location périodique (renouvelable d'un mois à l'autre), les locataires ont le droit de donner un préavis à leur propriétaire leur indiquant qu'ils souhaitent quitter, dit Tessa. \"Si vous envisagez de louer un appartement avec un partenaire et que vous n'êtes pas certain de rester avec lui pour toujours, vous voudrez peut-être envisager d'avoir une location à court terme\", car plus susceptible d'être flexible."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53210484", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-52828621", "doc1": "পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটির বেশি গত বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম যখন 'অজানা' একটি ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন মানুষ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি যে সেই ভাইরাসটি পরের ৬ মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবীকে ওলট পালট করে দেবে। শুরুর দিকে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হওয়া শুরু করে তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কর্তৃপক্ষই সংক্রমণটিকে ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বাড়তে থাকে, তখন পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশ বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানা যাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো পর্যন্ত টাইমলাইন সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর উহান মিউনিসিপাল কমিশন হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টার শনাক্ত করার কথা জানায়। নতুন এক ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ৪ঠা জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইটে উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টারের তথ্য প্রকাশ করে। ৫ই জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভাইরাসের মাধ্যমে একটি রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনে ঝুঁক��� ব্যবস্থাপনা এবং ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকা সংক্রান্ত কিছু উপদেশ লিপিবদ্ধ করা হয়। ১২ই জানুয়ারি চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করে। ১৩ই জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর জানা যায় থাইল্যান্ডে। ২২শে জানুয়ারি ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় - এই তথ্য প্রথমবার নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। ২৩শে জানুয়ারি ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহানকে চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ২রা ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। ততদিনে চীনে তিনশো'র বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া রোগের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় কোভিড-১৯। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইউরোপে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে। ৭ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। ১১ই মার্চ করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ই মার্চ ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে একসাথে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করে ফ্রান্স। ২৭শে মার্চ পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। ৩রা এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। ৪ঠা এপ্রিল বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। ১১ই এপ্রিল কোভিড-১৯ এ মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখে। ২৩শে মে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়।", "doc2": "Le pays a enregistré plus de décès que tout autre à travers le monde. Les cas confirmés qui s'élèvent à 1,69 million représentent environ 30 % du total mondial de cas. Le premier cas confirmé américain a été signalée dans l'État de Washington le 21 janvier. Depuis l'apparition du virus dans la ville chinoise de Wuhan à la fin de l'année dernière, on a enregistré 5,6 millions de personnes infectées et 353 414 décès dans le monde. Le nombre de morts aux États-Unis s'élève actuellement à 100 271, selon Jon Sopel, rédacteur en chef de BBC North America, ce qui correspond presque au nombre de militaires américains tués en Corée, au Vietnam, en Irak et en Afghanistan en 44 ans d'engagement militaire. Obama critique encore la gestion du coronavirus par Trump Les Etats-unis vont suspendre le financement américain de l'OMS Quel est le bilan national ? Selon une étude de Reuters, vingt Etats ont signalé une augmentation des nouveaux cas pour la semaine se terminant dimanche. Le nombre de cas reste obstinément élevé dans un certain nombre de zones métropolitaines, notamment à Chicago, Los Angeles et dans la banlieue de Washington DC. Les États américains de Caroline du Nord, du Wisconsin et de l'Arkansas connaissent également une augmentation constante du nombre de cas. Certains États durement touchés voient leur taux de mortalité baisser, notamment New York, où 21 000 habitants sont décédés. Au plus fort de la crise dans cette ville, le nombre de décès quotidiens se comptait par centaines. Les hôpitaux ont été débordés et des morgues de fortune ont été construites en dehors des établissements de santé. Qu'a dit le président Trump ? C'était la première réunion de cabinet de M. Trump depuis le début de l'épidémie aux États-Unis Le président Donald Trump a insisté sur le fait que sans les actions de son administration, le nombre de morts serait bien plus élevé, bien que les critiques l'aient accusé de réagir lentement. Mardi, il a déclaré que le nombre de morts aurait pu être 25 fois plus élevé. Au départ, le président a minimisé l'importance de la pandémie, en la comparant à la grippe saisonnière. En février, il a déclaré que les Etats-Unis avaient le virus \"sous contrôle\" et qu'en avril, il pourrait \"miraculeusement disparaître\". Il a prédit 50 000 à 60 000 décès, puis 60 000 à 70 000 et enfin \"nettement moins de 100 000\". Le 20 mai, M. Trump a également affirmé que c'était \"un honneur\" que les États-Unis aient le plus grand nombre d'infections confirmées au monde \"parce que cela signifie que nos tests sont bien meilleurs\". Une étude de l'Université de Columbia à New York a suggéré qu'environ 36 000 personnes de moins seraient mortes si les États-Unis avaient agi plus tôt. Comment le confinement s'assouplit-il ? Avec près de 39 millions d'Américains au chômage pendant la pandémie, les États-Unis s'efforcent, État par État, de relancer l'économie gelée par le coronavirus, même si le nombre de décès continue d'augmenter. Les 50 États ont tous commencé à assouplir les mesures adoptées contre le Covid-19 sous une forme ou une autre. Le plus grand parc d'attractions du monde, Walt Disney World en Floride, prévoit de commencer à ouvrir le 11 juillet, si le gouverneur de l'État le permet. Quatre casinos de Las Vegas appartenant à MGM Resorts devraient également rouvrir le 4 juillet. La société indique que les employés seront régulièrement soumis à des tests de dépistage du Covid-19. Actuellement, il n'existe pas de vaccin pour le Covid-19. Il n'y a pas non plus de traitement confirmé pour la maladie, mais plusieurs sont en cours de test."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55082084", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-55086713", "doc1": "দিয়েগো ম্যারাডোনা- ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়, একটি ট্রেনিং সেশনে, সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়ার সাথে এবং তাদের কন্যা দালমা ও জিয়ানিনা। বিশ্বকাপে অভিষেক হলো ১৯৮২ সালে। ঝড়ের আগে শান্তির পরিবেশ: ৮৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ইংলিশ গোলকিপার পিটার শিলটনের সাথে হ্যান্ডশেক করছেন 'হ্যান্ড অফ গড' যাকে বলা হয় 'গোল অফ সেঞ্চুরি' বিশ্বকাপ জয় কাপ কিং: ন্যাপোলির আইকন। ক্লাব দশ নম্বর জার্সি আর কাউকে দেয়নি তার সম্মানে। সেখানে ১৯৮৯ সালে উয়েফা ছাড়া দুটি লিগ শিরোপা জিতেছেন ম্যারাডোনা ২০০১ সালের ছবি, মাদক থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা লিওনেল মেসির সাথে। মেসির দলের ম্যানেজার ছিলেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপে। পোস্টার বয়: রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের পোস্টারের সাথে ম্যারাডোনা", "doc2": "Diego Maradona - affichant la Coupe du monde en 1986, lors d'une séance d'entraînement, et avec son ex-femme Claudia et leurs filles Dalma et Gianina De son pays natal, l'Argentine, à son succès en Italie, en passant par la gloire à la Coupe du monde et la chute avec la drogue, voici un aperçu de sa vie en photos. Le démarrage : Maradona a fait ses débuts en Coupe du monde avec l'Argentine lors du tournoi de 1982 en Espagne, mais il s'est vraiment fait remarquer quatre ans plus tard... Le calme avant la tempête : Poignée de main avec le gardien de but anglais Peter Shilton avant le quart de finale de la Coupe du monde au Mexique en 1986 Du ridicule au sublime : Le but de la \"Main de Dieu\" contre l'Angleterre, suivi du \"But du siècle\". Footbballeur de classe mondiale : Maradona a été nommé joueur du tournoi après avoir mené l'Argentine à la victoire en 1986, et a aidé l'équipe à atteindre la finale quatre ans plus tard Le roi de la série A : Maradona était une icône du club italien de Naples, où il a remporté la Coupe de l'Uefa en 1989, ainsi que deux titres de champion. Le maillot numéro 10 a été retiré en son honneur Lourdes charges : Maradona, photographié en 2001, a été confronté à un problème de toxicomanie et de poids L'équipe A de l'Argentine : Maradona, alors manager de l'équipe nationale, transmet sa sagesse à l'attaquant Lionel Messi lors de la Coupe du monde 2010, mais ils sont battus 4-0 par l'Allemagne en quarts de finale Maradona pose avec une banderole de lui-même lors du match Argentine - Nigeria à la Coupe du monde 2018 en Russie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52425097", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52424747", "doc1": "চীন বলছে তারা যখন ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত তখন এই তদন্তের আহ্বান অনভিপ্রেত। ব্রিটেনে চীনের একজন শীর্ষ কূটনীতিক চেন ওয়েন বিবিসিকে বলেছেন এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং এটা করা হলে এই মহামারি মোকাবেলায় চীন যেভাবে কাজ করছে তা ব্যাহত হবে। কোভিড নাইনটিনের উৎস এবং প্রথমদিকে কীভাবে তা ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে তা এই রোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে। গত বছর উহান শহরে একটা বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজার থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। ইতোমধ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের একটি রিপোর্টে অভিযোগ আনা হয়েছে চীন এই সঙ্কট সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়া এবং কিছুটা কম করে হলেও চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তার প্রতিবেশি দেশগুলোকে লক্ষ্য করে \"ষড়যন্ত্র তত্ত্ব\" ছড়ায়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের ভূমিকা নিয়ে বারবার চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। আমেরিকায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এই ভাইরাসের বিস্তার বন্ধে চীন যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। তবে উহানের এক গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিল এমন জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চীনের আপত্তি কোথায়? এই মহামারির প্রায় শুরুর সময় থেকে আহ্বান জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের চীনে যেতে দেয়া হোক যাতে তারা তদন্ত করে দেখতে পারে কোথা থেকে এই ভাইরাস ছড়ালো। গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে তিনি এই তদন্তের জন্য চাপ দেবেন। এই পরিষদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য নীতি নির্ধারক। অস্ট্রেলিয়া এই পরিষদের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য। এই বৈঠকে বর্তমান মহামারি থেকে \"শিক্ষা নিয়ে\" আগামীতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবার কথা রয়েছে। তবে মিস চেন বিবিসিকে বলেছেন তার দেশ আন্তর্জাতিক তদন্তের বিষয়ে মত দেবে না। \"নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত,\" তিনি বলেছেন। \"আমরা এই মুহূর্তে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি। এই ভাইরাস দমন করার জন্য আমরা পুরোমাত্রায় মনোযোগ দিচ্ছি। এখন তদন্তের কথাবার্তা কেন উঠছে? এই তদন্ত শুধু আমাদের লড়াইয়ে ব্যাঘাত ঘটাবে তাই নয়। আমাদের সম্পদও অন্য খাতে ব্যবহার করতে হবে।\" \"এই উদ্যোগ রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এতে কেউ রাজি হবে না। এই তদন্ত কারো কোন কাজে আসবে না।\" মিস চেন বলেন এই ভাইরাসের উৎস নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। এধরনের বিভ্রন্তিমূলক তথ্য বিপদজনক বলে তিনি দাবি করেন এবং বলেন এটা একটা ''রাজনৈতিক ভাইরাস এবং করোনাভাইরাসের মত একইরকম বিপদজনক''। তার থেকেও বেশি বিপদজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। করোনাভাইরাস: বিশ্বে মৃত ও আক্রান্ত কোথায় কত? বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন চীনের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে চায় না ইইউ বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন করেরা বলছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকাররা এই স্পর্শকাতর সময়ে চীনের সঙ্গে একটা কূটনৈতিক বিবাদে জড়াতে এখনও পর্যন্ত অনাগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি বলছেন ইউরোপের অনেক দেশ এই সঙ্কট সামাল দেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য চীনের ওপর নির্ভর করছে। তারা চায় চীনের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের পথগুলো খোলা রাখতে, যার মাধ্যমে তারা বুঝতে চায় এবারের ভাইরাস প্রাদুর্ভাব কীভাবে ঘটল এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এধরনের ঘটনা ঠেকানো যাবে। এই আদানপ্রদানও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই তাদের করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের একটি নিরাপত্তা সংস্থার চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। রুসি নামে এই সংস্থার বিশেষজ্ঞ চালর্স পার্টন বলেছেন: \"বাগাড়ম্বর এবং সংঘাতের পথে হাঁটার সময় এখন নয়। কারণ বিষয়টি অনেক জটিল।\" তবে গর্ডন করেরা বলছেন আমেরিকায় চীনের এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিশেষ করে সেখানে নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক পয়েন্ট স্কোর করতে চীনের বিরুদ্ধে কে কতটা কঠোর হতে পারে এবং ভাইরাস কোথা থেকে এল, কীভাবে ছড়ালো এসব দাবি কে কতটা জোর গলায় করতে পারে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে । কী আছে ইইউর রিপোর্টে? ইইউ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে চীনা কর্মকর্তারা এবং দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে তাদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। উহান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তির কথা তারা এড়িয়ে গেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে চীনে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কিছু সামাজিক যোগাযোগ চ্যানেলে এমন তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে যে আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তাদের সফরের সঙ্গে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্ক আছে। রিপোর্টের লেখক আরও বলেছেন রাশিয়া ইউরোপে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম - তাদের দাবি অনুয়ায়ী - এই সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউর ভূমিকাকে খাটো করে সমন্বিত প্রচার চালিয়েছে।", "doc2": "La Chine affirme que les appels à une enquête sont une distraction malvenue Chen Wen, une diplomate de haut rang, a déclaré à la BBC que ces demandes étaient politiquement motivées et qu'elles détourneraient l'attention de la Chine de la lutte contre la pandémie. Des informations sur l'origine du Covid-19 et sur sa propagation initiale pourraient aider les pays à lutter contre la maladie. A lire aussi sur BBC Afrique: On pense que le virus est apparu dans un marché d'animaux sauvages de la ville de Wuhan à la fin de l'année dernière. Entre-temps, un rapport de l'UE accuse la Chine de diffuser des informations erronées sur la crise. Le service d'action extérieure de l'Union européenne affirme que la Russie, et dans une moindre mesure la Chine, ont \"ciblé des récits de conspiration\" dans l'UE et les pays voisins. Le président américain Donald Trump a également attaqué à plusieurs reprises la Chine pour sa gestion de l'épidémie, et l'État du Missouri poursuit le gouvernement chinois, l'accusant de ne pas faire grand-chose pour arrêter la propagation du virus. À quoi la Chine s'oppose-t-elle ? Le nombre réel de victimes en Chine est, selon certains, beaucoup plus élevé que ce que disent les responsables du pays Presque dès le début de la pandémie, des appels ont été lancés pour que des enquêteurs internationaux soient autorisés à entrer en Chine afin de découvrir comment tout a commencé. Jeudi dernier, le Premier ministre australien Scott Morrison a déclaré qu'il ferait pression pour qu'une enquête soit menée lors de la réunion annuelle, le mois prochain, de l'Assemblée mondiale de la santé, l'organe décisionnel de l'Organisation mondiale de la santé (OMS). L'Australie siège au conseil exécutif de l'assemblée. L'organe prévoit déjà de discuter des appels à un examen des \"enseignements tirés\" des urgences sanitaires. Mais Mme Chen a déclaré à la BBC que son pays ne pouvait accepter aucune enquête internationale. \"L'enquête indépendante est motivée par des raisons politiques\", a-t-elle déclaré. \"Nous luttons contre le virus en ce moment, nous concentrons tous nos efforts sur la lutte contre le virus. Pourquoi parler d'une enquête sur ce sujet ? Cela détournera non seulement l'attention, mais aussi les ressources. \"C'est une initiative politiquement motivée, je pense que personne ne peut être d'accord sur ce point... Cela ne servirait à personne.\" Mme Chen a déclaré qu'il y avait beaucoup de rumeurs sur les origines du virus, mais que cette désinformation était dangereuse, a-t-elle affirmé, et a dit que c'était comme un virus politique et aussi dangereux que le coronavirus lui-même, si ce n'est plus. Les Européens sont \"nerveux\" face à la Chine Les fermetures d'usines dans le monde entier ont laissé des rues normalement animées désertes Jusqu'à présent, les gouvernements européens ont hésité à s'engager dans une querelle diplomatique avec la Chine à un moment sensible. Un fonctionnaire britannique, qui comme d'autres a refusé de s'exprimer, a déclaré qu'il y avait une \"nervosité\" à affronter la Chine et que les relations étaient \"délicates\". Les pays dépendent de Pékin pour la livraison d'équipements vitaux pour faire face à la crise et veulent garder le flux d'informations ouvert pour aider à comprendre ce qui s'est passé cette fois-ci et prévenir de futures épidémies, et les experts disent que l'approche doit être soigneusement calibrée. \"Nous devons réduire la rhétorique et la confrontation parce que nous avons quelque chose de plus sérieux à traiter\", affirme Charles Parton, ancien diplomate britannique en Chine et maintenant associé principal du groupe de réflexion RUSI. A regarder sur BBC Afrique: Coronavirus et l'infodémie: comment contenir l’épidémie d’information Aux États-Unis, en revanche, la question de la Chine devient très politisée en cette année d'élections, avec des appels contradictoires en faveur d'une ligne dure à l'égard de Pékin et des pressions pour que l'on enquête sur les origines du virus. Que dit le rapport de l'UE ? Dans cette illustration photo, le logo du drapeau de l'Union européenne est affiché sur un smartphone avec un modèle informatique du coronavirus COVID-19 en arrière-plan. \"Malgré leur impact potentiellement grave sur la santé publique, les sources officielles et soutenues par l'État de divers gouvernements, y compris la Russie et - dans une moindre mesure - la Chine, ont continué de cibler largement les récits de conspiration et la désinformation, tant dans l'UE que dans le voisinage\", indique le rapport. Il affirme que les fonctionnaires chinois et les médias d'État ont tenté de détourner la responsabilité de l'épidémie, en réduisant toute mention de Wuhan comme origine du virus, certains médias sociaux contrôlés par l'État continuant à diffuser la théorie selon laquelle l'épidémie était liée à la visite de représentants militaires américains. Les auteurs affirment également qu'il existe \"des preuves significatives d'opérations chinoises secrètes sur les médias sociaux\", citant des rapports de réseaux sur Twitter ayant des liens avec le gouvernement chinois. Le rapport pointe également du doigt la Russie pour avoir propagé la désinformation, affirmant que des sources pro-Kremlin et les médias d'État russes continuaient à mener une campagne coordonnée dans le but de saper l'UE et sa réponse à la crise et de semer la confusion sur les origines et les implications sanitaires du coronavirus."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54205088", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54208425", "doc1": "তিনি জানাচ্ছেন লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন ছোট্ট একটা কম্প্যুটার চিপ কীভাবে ল্যাবরেটরির কাজ করবে এবং করোনাভাইরাসের বর্তমান পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত করে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে এই পদ্ধতিও ঠিক একই ফল দেবে- তফাৎ হলো এই যন্ত্র ফল দিতে সময় নেবে মাত্র ৯০ মিনিট। ইংল্যান্ডের আটটি হাসপাতাল এই যন্ত্র ব্যবহার করে করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীদের সফলভাবে এবং দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ডিএনএনাজ নামে একটি সংস্থা এই যন্ত্রটি তৈরি করছে। তারা বলছে যে কেউ যদি গলা বা নাকের ভেতর থেকে সোয়াব বা নমুনা নিতে পারে, তাহলেই সে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি নীল রংএর কাট্রিজ বা আধারের মধ্যে সোয়াবটা রাখতে হবে, যার ভেতর পরীক্ষার জন্য ��্রয়োজনীয় রাসায়নিক আছে। আধারটি এরপর জুতার বাক্সের আকারের ছোট একটি যন্ত্রের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যন্ত্র ওই নমুনা বিশ্লেষণ করবে। ওই আধারটি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে। আরও পড়তে পারেন: বিজ্ঞানীরা বলছেন যে কেউ নাক ও গলার ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহে সক্ষম হলে এই যন্ত্র সফলভাবে ব্যবহার করতে পারবে মি. গ্যালাহার লিখছেন, এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট মাইক্রোবে। সেখানে বলা হয়েছে ৩৮৬ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ডিএনএনাজ কোম্পানির যন্ত্র দিয়ে এবং পাশাপাশি প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দুটি পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করা হয়েছে। ''দুটি পরীক্ষার ফলাফল দেখা গেছে একইরকম, যা খুবই আশ্বস্ত হবার মত। বিশেষ করে যখন একটা নতুন প্রযুক্তি আপনি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন তখন ফলাফলে তারতম্য না থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,\" বলেছেন ইমপিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক গ্রেয়াম কুক। ''অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, হয়ত সেটা দ্রুত করা যাচ্ছে কিন্তু ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়, আবার কোনটায় ফলাফল নির্ভুল কিন্তু সময় লাগছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুটোই সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।'' ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে রোগীর ভাইরাস নেই, এই যন্ত্রের পরীক্ষাতেও সেই ফলই এসেছে। ল্যাব পরীক্ষা যেখানে বলছে রোগীর ভাইরাস আছে, দ্রুত সময়ের এই পরীক্ষা ৯৪% ক্ষেত্রে একই রেজাল্ট দিয়েছে। এখানে সমস্যা একটা রয়েছে। সেটা হল একটা বাক্স-যন্ত্র দিয়ে একবারে শুধু একটা নমুনাই পরীক্ষা করা সম্ভব। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান যদি একটি বাক্স ব্যবহার করে তাহলে সারা দিনে প্রায় ১৬টার বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। অধ্যাপক কুক বলছেন: ''যেসব ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত জানা প্রয়োজন কেউ সংক্রমিত কিনা এবং একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যেখানে জরুরি, সেখানে এই যন্ত্র খুবই উপযোগী হবে।'' যেমন তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন গত সপ্তাহে এই যন্ত্র ব্যবহার করে একজন রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা তা দ্রুত জানা সম্ভব হয়েছে এবং সাথে সাথে ডেক্সামেথাসোন এবং রেমডেসিভির ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলছেন এই যন্ত্র হাসপাতালগুলোর জন্য ভবিষ্যতে খুবই উপযোগী হবে, কারণ এটা ব্যবহার করে খুব দ্রুত তারা শনাক্ত করতে পারবে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাকি তিনি সাধারণ ফ্লু বা শ্বাসযন্ত্রের অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বড় বড় জায়গায় যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হবে সেখানে পরীক্ষার জন্য এই যন্ত্র হয়ত সঠিক হবে না- যেমন ফুটবল স্টেডিয়ামে। কারণ কোথাও হয়ত ৬০ হাজার দর্শক সমাগম হবে - সবাইকে পরীক্ষা করতে গেলে সেখানে ৬০ হাজার যন্ত্র প্রয়োজন হবে । কিন্তু ছোট ভেন্যুতে বা যেখানে অল্প লোক জড়ো হবে, সেখানে এই যন্ত্র অবশ্যই দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করতে কার্যকর হতে পারবে। ইংল্যান্ডের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারইক, যারা এই গবেষণার সাথে যুক্ত নয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স ইয়ং বলেছেন এই উদ্ভাবন \"সৃজনশীল'' এবং কেউ ভাইরাস বহন করছেন কিনা তা দ্রুত জানতে পারলে সেটা রোগীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেও এটা খুবই সাহায্য করবে। তবে সব বিজ্ঞানীই বলেছেন এই যন্ত্র ছোট পরিমণ্ডলে উপকারী হবে। কিন্তু মারাত্মক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারগুলোকে গণহারে পরীক্ষার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।", "doc2": "Kit de dépistage DNA Nudge. L'étude de l'Imperial College de Londres a montré que le \"laboratoire miniature\" donnait des résultats comparables à ceux des centres de tests actuels. L'appareil est déjà utilisé dans huit hôpitaux publics britanniques pour identifier rapidement les patients porteurs du virus. Toutefois, les experts avertissent que le kit ne pourra constituer une solution pour venir décharger le programme de test et de dépistage du National Health Service en difficulté. Vous aimerez peut-être aussi : L'appareil, développé par la société DnaNudge, peut être utilisé par toute personne habilitée à effectuer des prélèvements pour les tests du nez ou de la gorge. Le prélèvement est placé dans une cartouche bleue jetable qui contient les produits chimiques nécessaires pour vérifier la présence du virus. Cette cartouche est ensuite insérée dans une machine de la taille d'une boîte à chaussures pour effectuer l'analyse. A regarder : Quel est l'effet de la covid 19 sur l'organisme ? L'étude, publiée dans le Lancet Microbe, a comparé les résultats obtenus sur des échantillons de 386 personnes qui ont subi à la fois les tests DnaNudge et les tests de laboratoires standards. \"Les performances étaient comparables, ce qui est très rassurant lorsqu'on essaie d'introduire une nouvelle technologie\", déclare le professeur Graham Cooke, de l'Imperial College de Londres. \"De nombreux tests impliquent de faire des choix entre rapidité et précision, mais avec ce test on atteint les deux objectifs\", ajoute-t-il. Si les tests de laboratoire indiquaient que le patient n'était pas contaminé par le virus, le test rapide donnait systématiquement le même résultat. Si les tests de laboratoire indiquaient que le patient était porteur du virus, le test rapide était d'accord dans 94% des cas. Le Royaume-Uni a déjà commandé 5 000 appareils Nudgebox et 5,8 millions de cartouches jetables. Plus d'articles sur le coronavirus : Cependant, il y a un inconvénient majeur car chaque boîte ne peut réaliser qu'un seul test à la fois. Ainsi, au cours d'une journée, une boîte peut effectuer environ 16 tests. \"Ils sont utiles en milieu clinique lorsque vous essayez de prendre une décision rapide\", explique le professeur Cooke. Il évoque un patient rapidement identifié comme ayant un Covid et qui a commencé à prendre les médicaments dexaméthasone et remdesivir la semaine dernière. Les tests pourraient devenir encore plus utiles pour les hôpitaux à l'avenir car il est théoriquement possible de tester en même temps le coronavirus, la grippe et le virus respiratoire syncytial (une des principales raisons d'admission des jeunes enfants à l'h��pital). Cependant, le problème de capacité signifie que le test ne peut pas résoudre les problèmes rencontrés par le programme NHS Test and Trace ou venir en appui de l'opération Moonshot dont l'objectif est de réaliser 10 millions de tests par jour. En effet, pour tester 60 000 personnes dans un stade avant un match de football, il faudrait 60 000 boîtes, mais l'appareil développé par DnaNudge pourra être utile avec des publics moins nombreux. Le professeur Lawrence Young, de l'université de Warwick, qui n'a pas participé à ces recherches, soutient que la technologie est \"innovante\". Il ajoute : \"Le test CovidNudge pourrait jouer un rôle important dans les cas où il est nécessaire de prendre des décisions en temps réel, comme le dépistage des patients en vue de leur admission à l'hôpital ou d'une intervention chirurgicale. [Cependant,] ce n'est pas la réponse pour les tests universels de masse. \" A regarder : v"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49644125", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50147126", "doc1": "এরইমধ্যে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত কার্যক্রম। ২৯৩ জন এমপি প্রধানমন্ত্রীর আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যা প্রয়োজনীয় ভোটের সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। এর আগে বিরোধী এমপিরা নিশ্চিত করে যে, ১৫ ই অক্টোবর আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আনা প্রস্তাবে সমর্থন দেবেন না তারা। বরঞ্চ তার আগে 'চুক্তিহীন ব্রেক্সিট' বন্ধে একটি আইন পাশের ওপর জোর দিচ্ছে তারা। মি. জনসন এটি অবজ্ঞা করলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন এমপিরা। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা এই আইনকে 'যাচ্ছেতাই' আখ্যা দিয়ে এটি রুখতে তারা তাদের চূড়ান্ত সীমা পর্যন্ত চেষ্টা করার কথা জানান। 'চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা' বর্তমানে, যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, ব্রাসেলসের সাথে চুক্তি হোক আর নাই হোক, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার কথা রয়েছে। কিন্তু সোমবার রাজকীয় সম্মতি পাওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, উনিশে অক্টোবরের মধ্যে এমপিরা চুক্তিসমেত অথবা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে সম্মতি না দিলে প্রধানমন্ত্রীকে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট পেছানোর জন্য সময় চাইতে হবে। বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেন, যদিও ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে যে, তারা নতুন আইনের অবাধ্য হবে না কিন্তু তারা এটিকে পাশ কাটানোর কোন উপায় আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পার্লামেন্ট বন্ধ থাকার সময়টিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে চুক্তিতে পৌঁছানোর কাজে ব্যবহার করবে সরকার। একই সাথে চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগের বিষয়েও প্রস্তুতি নেয়া হবে। \"এই পার্লামেন্ট আমার হাত বেঁধে দেয়ার জন্য যত চেষ্টাই করুক না কেন, জাতির স্বার্থে আমি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব,\" তিনি বলেন। \"এই সরকার ব্রেক্সিট কার্যকরে আর বিলম্ব করতে চায় না।\" \"আমরা চাই না যে, ব্রেক্সিট নিয়ে জনগণের দেয়া জোরালো রায় হিসাব-নিকাশের স্রোতে মুখ খুবরে পড়ুক।\" মি. জনসন পার্লামেন্টে এমপিদের বলেন যে, এর আগে মি. করবিন বলেছিলেন, ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরে বাধ্যবাধকতার বিপক্ষে আইন হলে আগাম নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দেবেন তিনি। \"তার নিজের দেয়া যুক্তি অনুযায়ীই এখন নির্বাচনকে সমর্থন দেয়া উচিত।\" পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে আনা মি. জনসনের এটি ষষ্ঠ প্রস্তাব যেটি এমপিদের ভোটে বাতিল হয়ে গেলো। মি. করবিন এমপিদের বলেন, \"লেবার পার্টি নির্বাচনে আগ্রহী ছিলো- কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর করে আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য চাকরি, সেবা কিংবা অধিকারগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাই না।\" আরো পড়তে পারেন: বরিস জনসন আইন না মানলে আদালতে যাবেন এমপিরা ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এমপিদের আর তিনি এটাও বলেন যে, নিজের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ করতেই পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লেবার, এসএনপি, লিবারেল ডেসোক্রেটস, গ্রিন পার্টি, ইন্ডিপেনডেন্ট গ্রুপ ফর চেঞ্জ এবং প্লাইড কিমরু সোমবার সকালে বৈঠক করে একমত হয় যে তারা নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দেবেন না। বিবিসির লরা কুয়েন্সবার্গ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের দেয়া ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা কিছু দিন আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তাহলে কি এটা অসম্ভব? মোটেই নয়। কোন একটি চুক্তিতে পৌঁছানো এখনো সম্ভব। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, এটি এখনো তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। তবে নর্দান আয়ারল্যান্ড নিয়ে গুঞ্জন এখনো একটি পিছুটান হিসেবে রয়ে গেছে। তবে ব্রেক্সিট কার্যকরের আশায় আজ রাতে অনেক এমপিরাই খোশ মেজাজে রয়েছেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষীণ একটি সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। এদিকে কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন যে, নির্বাচন কিংবা ৩১শে অক্টোবর যেটিই আগে আসুক না কেন, সেসময়ে তিনি স্পিকার এবং এমপি হিসেবে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। গত ১০ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে সোমবার, পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে আরো একটি পরাজয়ের মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত���রী। এর আগে, পার্লামেন্ট স্থগিত বিষয়ে সরকারি যোগাযোগ এবং চুক্তিহীন প্রস্থান পরিকল্পনার বিষয়ে গত ২৩ জুলাই থেকে বিভিন্ন নথি প্রকাশের পক্ষে আনা এক প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন এমপিরা। ৩১১টি ভোটের মধ্যে ৩০২টি ভোটই প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে। সাবেক কনজারভেটিভ সদস্য ডমিনিক গ্রিভ, বর্তমানে স্বতন্ত্র এই এমপি যিনি এই প্রস্তাব আনেন, তিনি বলেন, নথি প্রকাশ খুবই জরুরী ছিলো কারণ এর মধ্য দিয়েই হাউজ এর ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং এর ফলে জনগণের সাথেও যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে। কিন্তু মন্ত্রী মাইকেল গভ, যিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট প্রস্তুতির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন তিনি বলেন, এরইমধ্যে তিনি ইইউ সিলেক্ট কমিটিকে ইয়োলোহ্যামার বা চুক্তিহীন-ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং তাদের সম্মতিই এ বিষয়ে যথেষ্ট বলে তিনি মনে করেন। ইয়োলোহ্যামার বিষয়ে ইইউ এর সিলেক্ট কমিটিকে প্রমাণ দেয়ার কথা জানান মাইকেল গভ অ্যাটর্নি জেনারেল জেওফ্রে কক্স এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস-সহ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল সম্পর্কে প্রকাশ করতে সরকারি নির্দেশের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটের পর সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, প্রকাশ করার এই দাবিটি 'অভূতপূর্ব এবং অপ্রয়োজনীয়'। তিনি আরো বলেন, \"যথা সময়ে এটির প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।\" এছাড়া লেবার নেতা জেরেমি করবিনের আনা একটি প্রস্তাব যেখানে সরকারকে আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় সেটিও অনানুষ্ঠানিক ভোটে পাস হয়। তিনি বলেন যে, ব্রেক্সিট নিয়ে বর্ধিত যেসব আইন রয়েছে তা না মানার প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব আইনের শাসনের প্রতি হুমকি। পার্লামেন্ট স্থগিতের ব্ষিয়ে সরকারি নথি প্রকাশের পক্ষে রায় দেন এমপিরা প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, সরকার সব সময়ই আইনের শাসন সমুন্নত রাখবে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা 'ত্রুটিপূর্ণ' এবং যুক্তরাজ্য ৩১শে অক্টোবর ইইউ ত্যাগে করার বিষয়ে যথাযথভাবেই সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশ সোমবারের পর থেকে কার্যকর হবে। তার মানে হচ্ছে, এই সময়ে মধ্যে এমপিরা নির্বাচন নিয়ে ভোট দেয়ার আর কোন সুযোগ পাবেন না। অর্থাৎ সবচেয়ে দ্রুত সময়ে মধ্যে হলেও আগামী নভেম্বরের আগে ��োন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। অন্যদিকে, ব্রেক্সিট বিলম্ব বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। আর তা হলো - ইইউ এর কোন সদস্য এর মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে ভেটো দেয় কিনা তার উপর। আরেকটি উপায় হতে পারে যে, নতুন আইন অনুযায়ী ইইউকে মেয়াদ বাড়ানোর একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো এবং সাথে আরেকটি চিঠি পাঠানো যাতে বলা হবে যে,যুক্তরাজ্য আর দেরি করতে চায় না। তবে, যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক লর্ড সাম্পশন বলেন, এ ধরণের পরিকল্পনা বৈধ নয়। \"চিঠি পাঠিয়ে তা আবার বাতিল করার চেষ্টা আমার কাছে পরিষ্কারভাবেই আইনের লঙ্ঘন বলে মনে হয়,\" বিবিসি রেডিও ফোর-কে তিনি বলেন। নির্বাচন প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন লিবারেল ডেমোক্রেট এমপিরাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মি. জনসন সোমবার সকালে প্রথমবারের মতো তিনি আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সাথে ডাবলিনে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাজ্য ও ইইউএর মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তির একটি অন্যতম বিষয় হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত। মি. জনসন আয়ারল্যান্ডের সাথে সীমান্তে কঠোরতার বিপরীতে বীমা নীতির প্রত্যাহার চান। কারণ এটি কার্যকর হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একক শুল্ক অঞ্চলের অধিভুক্ত হবে যুক্তরাজ্য এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতে এটি ইইউ বাণিজ্য প্রতিযোগিতার বিধিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ইইউ এর একক বাজার ব্যবস্থার সাথেও যুক্ত থাকবে নর্দান আয়ারল্যান্ড। ইইউ এবং ইউকের যৌথ সম্মতির ভিত্তিতে এসব বিধিমালা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এগুলো কার্যকর থাকবে। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে এবং ব্যাক-স্টপের বিকল্প খুঁজে পাওয়া সম্ভব। মি. জনসন বলেন, \"চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত যাতে রাজি ছিলেন, তা হবে এক ধরনের ব্যর্থতা যার জন্য সবাই দায়ী থাকবে।\" মি. ভারাদকার বলেন, ব্যাকস্টপের 'বিকল্পতে রাজি' আয়ারল্যান্ড। তবে তা হবে অবশ্যই বাস্তবতার সাতে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি বলেন, \"আমরা এখনো কোন প্রস্তাব পাইনি।\" তিনি বলেন যে, ব্যাকস্টপের যেকোন বিকল্প যা শুধু নর্দান আয়ারল্যান্ডের সাথেই কার্যকর হবে তাতে রাজি তিনি। তবে পার্লামেন্টে মি. জনসনের মিত্র ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির এমপিরা বলেছেন, তারা এই পরিকল্পনার দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।", "doc2": "Le Premier ministre avait prévenu qu'il provoquerait une élection anticipée si les députés rejetaient le plan. La Chambre des communes a appuyé le projet de loi sur l'accord de retrait, mais elle a maintenant voté contre le court échéancier. Auparavant, le Premier ministre avait prévenu qu'il provoquerait une élection anticipée si les députés rejetaient le plan et si l'UE accordait une prolongation jusqu'au 31 octobre, date limite Brexit. Après le vote, il a dit aux Communes qu'il mettrait le parlement en \"pause\" jusqu'à ce que l'UE ait \"exprimé ses intentions\". Un porte-parole de la Commission européenne a déclaré : \"[La Commission] prend note du résultat de ce soir et attend du gouvernement britannique qu'il nous informe des prochaines étapes.\" Lire aussi : M. Johnson a déclaré aux députés qu'il était \"déçu\" qu'ils aient \"voté pour le report\", et a déclaré que le Royaume-Uni \"était maintenant confronté à une incertitude accrue\". Mais il a dit que sa politique restait que Brexit soit effectif à la fin du mois, ajoutant : \"D'une façon ou d'une autre, nous quitterons l'UE avec cet accord que cette Assemblée vient d'approuver.\" Le dirigeant syndical Jeremy Corbyn a déclaré que M. Johnson était \" l'auteur de son propre malheur \", mais il a proposé d'entamer des discussions sur un calendrier \" raisonnable \" pour que son accord soit soumis au Parlement. A écouter : Alexander Seale : ‘’les députés de l’opposition ont deux semaines pour essayer de stopper un Brexit sans accord’’ Mais le chef du SNP, Ian Blackford, a déclaré que c'était \"une autre défaite humiliante\" pour le Premier ministre, et les députés avaient \"parlé d'une voix très claire pour dire au Premier ministre qu'il n'était pas rassurant\". Et le dirigeant libéral démocrate Jo Swinson a appelé M. Johnson à \"mettre fin à la politique de la corde raide et à la remplacer par un certain sens politique\" afin d'obtenir une extension avec l'UE. Boris Johnson a approuvé son nouveau plan avec les dirigeants européens la semaine dernière, mais s'est engagé à plusieurs reprises à quitter l'Union Européenne d'ici la fin octobre, avec ou sans accord. Lire aussi : Comment le Brexit a entraîné la chute de Theresa May Quel est l'impact du \"Brexit\" sur l’Afrique ? Le projet de loi qui allait transformer son plan en loi - le projet de loi sur l'accord de retrait - a été publié lundi soir, et il a exhorté les députés à appuyer un calendrier de trois jours pour le faire adopter par les Communes avant la date limite de l'Halloween. Le Premier ministre a dit au Parlement que s'il \" décidait de tout retarder jusqu'en janvier ou peut-être plus longtemps \", il provoquerait des élections anticipées - mais il n'a pas dit ce que le gouvernement ferait si l'UE offrait une prolongation plus courte. A regarder : Brexit : l’incertitude fait peur jusqu’en Afrique"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49955268", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50102068", "doc1": "কমতে থাকা এবং বয়সী হয়ে যাওয়া গ্রামীণ শ্রমশক্তির কারণে কৃষিকাজের জন্য উন্নত প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে থাকা জাপান এখন সাহায্য নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। বরং এই জাপানি বিজ্ঞানী চাষাবাদের জন্য এমন একটি জিনিসের ওপর নির্ভর করেন, যেটি আসলে মানুষের বৃক্ক বা কিডনির চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হতো- আর তা হছে পরিষ্কার এবং সহজ ভেদ্য পলিমারের ঝিল্লি। ওই ঝিল্লির ওপরে উদ্ভিদ বড় হয়ে ওঠে, যা তরল এবং পুষ্টি মজুদ করে রাখে। যেকোনো পরিবেশে সবজি গাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি, এই প্রযুক্তি প্রচলিত কৃষিকাজের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম পানি ব্যবহার করে। সেই সঙ্গে কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় না- কারণ পলিমার নিজেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র, যা দিয়ে ভূমি এবং কর্ম শক্তির ঘাটতিতে থাকা জাপান কৃষি কাজে বিপ্লব ঘটিয়ে দিচ্ছে। ফলমূল এবং সবজি মাঠে চাষ করেন না ইয়ুচি মোরি। ��ার ক্ষেত্রে আসলে মাটি বলে কোন জিনিস নেই ''কিডনি ডায়ালাইসিসের কাজে যে ঝিল্লি ব্যবহার করা হতো, আমি সেসব বস্তু এখানে ব্যবহার করছি,'' বিবিসিকে বলেছেন এই বিজ্ঞানী। তার কোম্পানি মেবাইওল প্রায় ১২০টি দেশে এই আবিষ্কারের পেটেন্ট বা স্বত্বাধিকার নিশ্চিত করেছে। এটা আসলে জাপানের অব্যাহত একটি কৃষি বিপ্লবকে সামনে তুলে ধরেছে। মাঠগুলো এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট আর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একেকটা টেকনোলজি সেন্টারে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতে ভালোভাবে ফসলের নজরদারি এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেবে। এ বছর পানিসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশ্ব প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে, বর্তমানে যে হারে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানির ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০ শতাংশ শস্য উৎপাদন এবং ৪৫ শতাংশ বিশ্বের দেশজ পণ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। আরো পড়ুন: 'একমণ ধানের দামের চেয়ে একজন শ্রমিকের মজুরি বেশি' অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু মান কেমন? ভারত যেভাবে বাংলাদেশের খামারিদের জন্য আশীর্বাদ কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় না- কারণ পলিমার নিজেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়ুচি মোরির আবিষ্কৃত কৃষি পদ্ধতি এর মধ্যেই জাপানের ১৫০টি এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরব আমিরাতের মতো অনেক দেশ এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। বড় ভূমিকম্প প্রবণ এবং ২০১১ সালের মার্চে পারমাণবিক বিপর্যয়ে পড়া এলাকাগুলোয় নতুন করে কৃষিকাজ শুরু করার জন্য এই পদ্ধতি বিশেষভাবে সহায়তা করছে। রোবট ট্র্যাক্টর ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা সাতশো সত্তর কোটি থেকে বেড়ে ২০৫০ সাল নাগাদ নয়শো আশি কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে বিশ্বের খাদ্য চাহিদা মেটানোর বিষয়টিকে বড় ব্যবসায়িক সুযোগ হিসাবে দেখছে কোম্পানিগুলো, পাশাপাশি যন্ত্রপাতির বড় বাজারও তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ ধরণের রোবট তৈরির ব্যাপারে ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করছে জাপানের সরকার, যেগুলো কৃষিকাজের নানা পর্যায়ে সহায়তা করতে পারবে। নানা ধরণের ফসলের বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহের কাজ করবে এসব রোবট। একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুইটি ট্র্যাক্টর চালাতে পারবে। সেন্সরের কারণে এসব ট্র্যাক্টর সামনে বাধা সনাক্��� করতে পারে এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে যেতে পারে। হাক্কাইডো ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মেশিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার একটি রোবট ট্র্যাক্টর তৈরি করেছে, যেটি এর মধ্যেই ক্ষেতে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুইটি ট্র্যাক্টর চালাতে পারবে। সেন্সরের কারণে এসব ট্র্যাক্টর সামনে বাধা সনাক্ত করতে পারে এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে যেতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে গাড়ি নির্মাতা নিশান সৌর শক্তি চালিত একটি রোবট তৈরি করে যেটি জিপিএস এবং ওয়াইফাই রয়েছে। ডাক নামের ওই বাক্স আকৃতির রোবটটি বন্যার শিকার হওয়া ধান ক্ষেতে ঢুকে পানি নিষ্কাশন, কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস আর পরিবেশগত প্রভাব নির্ণয়ে সহায়তা করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে, বর্তমানে যে হারে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানির ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০ শতাংশ শস্য উৎপাদন এবং ৪৫ শতাংশ বিশ্বের দেশজ পণ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। কম মানুষকে নিয়ে খামারের কাজ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জাপানের সরকার তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষিত করতে চায়, যাদের সরাসরি কৃষি ক্ষেতে কাজ করার আগ্রহ নেই, কিন্তু প্রযুক্তিতে দক্ষতা রয়েছে। এটি আসলে অর্থনীতির এমন একটি খাতকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা, যেখানে শ্রম শক্তি হারিয়ে যেতে বসেছে। গত এক দশকে জাপানে কৃষিকাজের সাথে জড়িত জাপানির সংখ্যা বাইশ লাখ থেকে কমে সতেরো লাখে দাঁড়িয়েছে। আরো জটিল ব্যাপার হলো, এখন একজন কৃষকের গড় বয়স হলো ৬৭ বছর এবং বেশিরভাগ খামারি খণ্ডকালীন কাজ করেন। জাপানে কৃষকদের গড় বয়স ৬৭ বছর জমির সংকট জাপানের কৃষিকাজের আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা, যেখান থেকে দেশটির মোট খাদ্য চাহিদার মাত্র চল্লিশ শতাংশ এসে থাকে। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ জমি হচ্ছে পাহাড়ি। চাষযোগ্য বেশিরভাগ জমিতে ধান চাষ করা হয়। ধান জাপানের প্রধান খাদ্য এবং এটি চাষের জন্য ধানচাষীদের ভর্তুকি দিয়ে থাকে সরকার। কিন্তু মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলে গেছে। একটি ড্রোন যা মাত্র আধঘণ্টা করতে পারে, একজন মানুষের হয়তো সেটা করতে পুরো একটি দিন লাগবে। আকাশ থেকে ছিটানো ১৯৬২ সালে একজন জাপানি বছরে ১১৮ কেজি চাল খেতেন। ২০০৬ সালে সেটি নেমে দাঁড়িয়েছে ৬০ কেজিতে। এর ফলে জাপানের কৃষিকাজেও ধানের বাইরে গিয়ে বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংখ্যা কম থাকায় জাপানের কৃষকদের যন্ত্র এবং জৈবপ্রযুক্তির দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। চালক বিহীন যান বা ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ থেকে বীজ বা কীটনাশক জমিতে ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে। একটি ড্রোন যা মাত্র আধঘণ্টা করতে পারে, একজন মানুষের হয়তো সেটা করতে পুরো একটি দিন লাগবে। উন্নত প্রযুক্তির ফলে এমনকি জমি ছাড়াই ফসলের বিস্তৃতিও ঘটানো যায়। মাটি ছাড়াই সবজি চাষের প্রবণতা জাপানে বাড়ছে গ্রিনহাউজ প্রযুক্তি এবং জল-চাষ প্রযুক্তি (যাতে মাটির পরিবর্তে খনিজ সমৃদ্ধ পানিতে উদ্ভিদ চাষ করা হয়) প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাপান ফলমূল এবং সবজি উৎপাদন করছে। চিবার একটি প্রতিষ্ঠান, মিরাই গ্রুপ মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত তাক তাক করে খাদ্যশস্য উৎপাদন শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজার লেটুস সংগ্রহ করছে। প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় এভাবে প্রায় একশোগুণ বেশি ফসল পাওয়া যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে টমেটোর চাষ করা হচ্ছে একটি সেন্সর যন্ত্রের মাধ্যমে কোম্পানি কৃত্রিম আলো, তরল পুষ্টি, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা এবং তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে। কৃত্রিম আলো এসব উদ্ভিদকে দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত শক্তি খরচের পরেও, জাপানে এ ধরণের ' উদ্ভিদ কারখানা গত এক দশকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে এরকম দুইশো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্ব বাজারে বর্তমানে জল-চাষ প্রযুক্তিতে দেড়শ কোটি ডলারের ব্যবসা হচ্ছে। কিন্তু পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যালিয়েড মার্কেট রিসার্চ ভবিষ্যতবাণী করেছে যে, ২০২৩ সাল নাগাদ এই বাজারের আকার দাঁড়াবে ছয়শ চল্লিশ কোটি ডলারে। দেশের মোট খাদ্য চাহিদার ৬০ শতাংশ জাপান আমদানি করে প্রযুক্তির হস্তান্তর জাপান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলোর বার্ষিক ধান উৎপাদনের হার দ্বিগুণ করে বছরে পাঁচ কোটি টনে নিয়ে যাওয়া হবে। এজন্য বেশ কিছু প্রকল্পও গ্রহণ করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, সেনেগালে জাপান কৃষি প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করেছে এবং সেচ বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছে। ফলে, দেশটিতে প্রতি হেক্টরে ধানের উৎপাদন চার টন থেকে বেড়ে সাত টন হয়েছে এবং কৃষকদের আয় বিশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানের কৌশল হল���, বেসরকারি বিনিয়োগ বিস্তারে সহায়তা করা এবং আফ্রিকা মহাদেশে টেকসই কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবসা বিস্তৃত করা। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং ব্রাজিলের সঙ্গেও দেশটির সহযোগিতার নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু জাপানের কৃষি বিপ্লবের আসল উদ্দেশ্য হলো নিজেদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি মোট খাদ্য চাহিদার অন্তত ৫৫ শতাংশ নিজেরা উৎপাদন করতে চায়। আর সেটি তারা প্রযুক্তির সহায়তায় বাস্তবায়ন করতে চায়।", "doc2": "Avec un nombre de travailleurs ruraux en baisse, le Japon développe des technologies telles que des robots de cueillette de fruits pour améliorer la production alimentaire. Il n'a même pas besoin de terre. Au lieu de cela, le scientifique japonais s'appuie sur un matériau conçu à l'origine pour traiter les reins humains - un film polymère transparent et perméable. Les plantes poussent sur le film, ce qui aide à stocker les liquides et les nutriments. En plus de permettre aux légumes de pousser dans n'importe quel environnement, cette technique consomme 90 % moins d'eau que l'agriculture traditionnelle et évite l'utilisation de pesticides - le polymère lui-même bloque les virus et les bactéries. C'est un exemple de la manière dont le Japon - à court de terres et de main-d'œuvre - révolutionne l'agriculture. Yuichi Mori s'est inspiré des membranes utilisées dans les reins artificiels pour utiliser les films polymères en agriculture. \"J'ai adapté les matériaux utilisés pour filtrer le sang dans les dialyses rénales \", a déclaré le scientifique à la BBC. Son entreprise Mebiol possède des brevets d'invention déposés dans près de 120 pays. Il met en lumière une révolution agricole en cours au Japon : des domaines sont transformés en centres technologiques grâce à l'intelligence artificielle (IA), à l'Internet des objets (IoT) et aux connaissances de pointe. Lire aussi : La capacité de l'agrotechnologie à accroître la précision de la surveillance et de l'entretien des cultures pourrait s'avérer vitale dans un avenir proche. Le Rapport mondial des Nations Unies sur la mise en valeur des ressources en eau de cette année estime que 40 % de la production céréalière et 45 % du produit intérieur brut mondial seront compromis d'ici 2050 si la dégradation environnementale et les ressources en eau se poursuivent au rythme actuel. Le polymère signifie que les pesticides ne sont plus nécessaires. Des méthodes de culture telles que celle de Yuichi Mori sont déjà utilisées dans plus de 150 endroits au Japon et dans d'autres pays comme les Emirats Arabes Unis. Cette méthode est un outil particulièrement important pour la reconstruction des zones agricoles du nord-est du Japon contaminées par des substances et des radiations transportées par le tsunami à la suite du séisme et de la catastrophe nucléaire de mars 2011. A regarder : En Angleterre, un hôpital aux allures futuristes où tout est robotisé. Robot tracteur Avec l'augmentation prévue de la population mondiale (de 7,7 milliards d'habitants à 9,8 milliards d'ici 2050), les entreprises misent sur la demande mondiale d'aliments pour créer des débouchés commerciaux importants, ainsi qu'un marché potentiel pour les machines. Le gouvernement japonais subventionne actuellement le développement de 20 types de robots capables d'assister à différents stades de l'agriculture, du semis à la récolte, sur différentes cultures. En partenariat avec l'Université d'Hokkaido, le motoriste Yanmar a développé un tracteur robot qui est déjà testé sur le terrain. Le tracteur robot Yanmar peut être télécommandé et utilise le GPS pour franchir les obstacles. Une seule personne peut conduire deux tracteurs en même temps grâce à des capteurs qui identifient les obstacles et préviennent les collisions. En début de cette année, le constructeur automobile Nissan a lancé un robot solaire équipé d'un GPS et d'une connexion wifi. Baptisée Duck, la sonde en forme de boîte traverse les rizières inondées pour aider à oxygéner l'eau, réduisant ainsi l'utilisation de pesticides et leur impact environnemental. L'ONU estime que 40 % de la production mondiale de céréales pourrait être compromise d'ici 2050 si la dégradation de l'environnement se poursuit au rythme actuel. Une agriculture avec moins de personnes Avec la technologie, le gouvernement japonais cherche à attirer des jeunes qui ont peu d'intérêt à travailler directement dans les champs, mais qui ont une certaine affinité pour la technologie. Il s'agit d'une tentative de relancer un secteur de l'économie dont la main-d'œuvre diminue. Lire aussi : Que sont les embryons mi-homme mi-animal dont le Japon a autorisé la création ? Il y a plus de personnes âgées que d'enfants dans le monde En près d'une décennie, le nombre de Japonais impliqués dans la production agricole est passé de 2,2 millions à 1,7 million. Pour compliquer les choses, l'âge moyen des travailleurs est maintenant de 67 ans et la plupart des agriculteurs travaillent à temps partiel. La topographie limite considérablement l'agriculture japonaise, qui ne peut produire que 40% de la nourriture dont le pays a besoin. L'âge moyen d'un travailleur agricole au Japon est de 67 ans Environ 85% des terres sont montagneuses et la plupart des terres arables restantes sont consacrées à la culture du riz. Cette graine a toujours été l'aliment de base des Japonais et le gouvernement subventionne les riziculteurs pour maintenir la production dans les petites exploitations d'un hectare. Mais les habitudes alimentaires ont changé. A écouter : De jeunes agronomes ivoiriens se lancent dans l'« agriculture intelligente » Pulvérisation par le haut Une baisse de la consommation annuelle de riz par habitant (de 118 kg en 1962 à moins de 60 kg en 2006) a incité le Japon à encourager la diversification de l'agriculture. Mais sans aide humaine, les agriculteurs doivent recourir aux machines et à la biotechnologie. De plus en plus de drones sont utilisés dans des tâches telles que le désherbage des cultures - ils peuvent être effectués en une demi-heure de travail qu'un humain mettrait une journée à effectuer. Les drones peuvent traiter les cultures en une fraction du temps nécessaire à l'homme. La haute technologie a également permis l'expansion des cultures, même sans terre. Grâce à la production en serre et à l'utilisation de la culture hydroponique qui est une méthode de culture de plantes sans terre en utilisant des solutions nutritives minérales dans un solvant aqueux, le Japon a pu accroître sa production de fruits et légumes. Mirai Group, à Chiba, est un pionnier dans la production d'aliments d'étagère du sol au plafond. Elle récolte actuellement environ 10 000 têtes de laitue par jour. Le nombre d'\"usines à plantes\" au Japon a triplé en une décennie La productivité est cent fois supérieure à celle de la méthode conventionnelle. Grâce à un capteur, l'entreprise contrôle la lumière, les nutriments liquides, les niveaux de dioxyde de carbone et la température. La lumière artificielle accélère la croissance des plantes et la gestion contrôlée élimine les pertes dues aux maladies. Malgré les coûts élevés de l'énergie, le nombre d'usines à plantes\" au Japon a triplé en une décennie pour atteindre les 200 installations actuelles. La technologie japonaise est utilisée dans cette usine de culture de tomates aux Émirats arabes unis. Le marché de l'hydroponique représente actuellement un peu plus de 1,5 milliard de dollars de chiffre d'affaires dans le monde, mais le cabinet de conseil Allied Market Research prévoit qu'il va plus que quadrupler d'ici 2023 pour atteindre 6,4 milliards de dollars. A regarder : La technologie au service de l’agriculture en Côte d'Ivoire Transfert de technologie Le Japon s'est également engagé à aider les pays africains à doubler leur production annuelle de riz pour la porter à 50 millions de tonnes en 2030, et des projets spécifiques sont déjà en cours. Au Sénégal, par exemple, les Japonais ont investi dans la formation de techniciens agricoles et le transfert de technologie, principalement dans l'irrigation. Le Japon importe 60 % de ses produits alimentaires En conséquence, la productivité est passée de quatre à sept tonnes de riz par hectare et les revenus des producteurs ont augmenté d'environ 20 %. La stratégie japonaise consiste à promouvoir l'investissement privé et à développer le commerce des machines agricoles durables sur tout le continent africain. Il existe également des initiatives de coopération avec le Vietnam et le Myanmar, ainsi que des projets au Brésil. Mais l'objectif principal de la révolution japonaise est d'améliorer sa propre sécurité alimentaire : les autorités japonaises veulent produire au moins 55% des aliments dont le pays a besoin d'ici 2050. Avec l'aide de la technologie, bien sûr."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56385379", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56373132", "doc1": "২০০৪ সালে আদালতে শুনানির পর ক্যাথলিন ফলবিগ এরপর মনে করুন আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আপনি সব কটি সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছেন। চারটি ভয়ানক অপরাধের দায়��� আপনাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যে অপরাধ আপনি করেননি। আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের হান্টার ভ্যালি এলাকার একজন মা ক্যাথলিন ফলবিগের প্রায় ১৮ বছর আগের অপরাধ নিয়ে এখন এরকম ভাষ্যই শোনা যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন সিডনি থেকে সংবাদদাতা কোয়েন্টিন ম্যাকডারমট। ক্যাথলিনকে ২০০৩ সালে খুনের মামলায় \"অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুধর্ষ নারী সিরিয়াল খুনি\" বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। তার চার সন্তানকেই তিনি হত্যা করেছিলেন বলে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তিরিশ বছরের কারাদণ্ডের ১৮ বছর সাজা তিনি ইতোমধ্যেই খেটেছেন। কিন্তু এতদিন পর বিজ্ঞানীরা নতুন যেসব তথ্য নিয়ে এসেছেন তাতে এই মামলার রায় সঠিক কি না তা নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে ৯০জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ একটি পিটিশনে সই করে মিজ ফলবিগকে ক্ষমা প্রদর্শনের এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আবেদন জানিয়েছেন। স্বাক্ষরদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন দুজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় খেতাব পাওয়া দুই ব্যক্তি, একজন প্রধান বিজ্ঞানী এবং অস্ট্রেলীয় এ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন শিন। তিনি বলেছেন: \"এই মৃত্যুর ঘটনাগুলোতে এখন যেসব বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসাগত তথ্যপ্রমাণ দেখা যাচ্ছে, তাতে এই আবেদনে স্বাক্ষর করাটাই যৌক্তিক মনে করছি।\" মিজ ফলবিগকে যদি মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে এটি হবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ভুল বিচারে শাস্তিপ্রদানের সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত। ২০০৩ সালে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানিতে ক্যাথলিন ফলবিগ (বামে) পিটিশনে কী আছে? এই পিটিশনে বিজ্ঞান এবং আইনের মধ্যে ব্যাখ্যায় যে বিশাল ফারাক রয়েছে তা উঠে এসেছে। মিজ ফলবিগের রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়টি আপিল করা হয়েছিল। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় ২০১৯ সালে যখন পুনঃবিবেচনা করা হয় তখনও অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীরা রায় দেন যে, তার দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা পরিস্থিতিগত তথ্যপ্রমাণ এবং মিজ ফলবিগের সেসময়কার একটি ডায়রিতে লিপিবদ্ধ কিছু ধোঁয়াটে তথ্যের ওপরই মূলতঃ জোর দেন। \"ফলে আইনজীবীদের সামনে একটা মাত্র সিদ্ধান্তে পৌঁছনর রাস্তাই খোলা ছিল যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তানদের ক্ষতি করেছেন এবং তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করাটাই ছিল এক্ষেত্রে একমাত্র পদ্ধতি,\" বলছেন সেসময় মামলার নেতৃত্বদানকারী সাবেক বিচারক রেজিনাল্ড ব্লাঞ্চ। \"তথ্যপ্রমাণ যা ছিল তাতে মিজ ফলবিগ ছাড়া আরও কারোর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব ছিল না।\" নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সরকার জনগণকে দু বছর আগে আশ্বস্ত করে যে, \"সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে, তদন্তে কোন ফাঁক রাখা হয়নি।\" কিন্তু বিজ্ঞানীরা জোরেসোরে বলতে শুরু করেছেন যে, তাকে দোষী প্রমাণ করার পেছনে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ রয়েছে। \"বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা উপেক্ষা করা যায় না,\" বলেন মানবদেহের জিন বিশেষজ্ঞ গবেষক অধ্যাপক জোসেফ গেয। শিশু ও জন স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক ফিয়োনা স্ট্যানলি বলেন: \"চিকিৎসাগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণকে এই মামলায় অগ্রাহ্য করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানকে ছাপিয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পরিবেশ ও পরিস্থিতিগত তথ্যের ওপর। ফলবিগ সন্তানদের মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের হাতে বিকল্প ব্যাখ্যা রয়েছে।\" আরও পড়তে পারেন: ক্যাথলিন ফলবিগের কারাদণ্ডাদেশের পর তার স্বামী ক্রেগ ফলবিগ সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন - ২৪শে অক্টোবর ২০০৩ কী সেই ব্যাখ্যা? তারা বলছেন ক্যাথলিন ফলবিগের শরীরে জিনগত একটি পরিবর্তন হয়েছিল যে পরিবর্তন বংশগতভাবে তার দুই মেয়ে সারা ও লরার শরীরে যায় আর সে কারণেই মেয়ে দুটির মৃত্যু ঘটে। ক্যাথলিনের শরীরে জিনের আরেক ধরনের পরিবর্তন হয়, যা ধরা পড়েছে তার দুই ছেলে ক্যালেব এবং প্যাট্রিকের ক্ষেত্রে, যা তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে তারা মনে করছেন, যদিও এই পরিবর্তনটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত এই জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির ইমিউনোলজি এবং জিনোমিক মেডিসিনের অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা এবং তিনিই এই মিজ ফলবিগের মুক্তির দাবিতে এই আবেদনের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। তিনি বিবিসিকে বলেন, \"পরিবর্তিত এই নতুন ধরনের জিন কারো শরীরে এর আগে আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যাথলিনের শরীর থেকে এই জিন তার দুই মেয়ের শরীরে গেছে,\" তিনি বলেন। \"ক্যালএমটু (CALM2) নামে এই জিন থেকে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।\" এই জিন সম্পর্কে আরও গবেষণা চালান অস্ট্রেলিয়া, ডেনম��র্ক, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এবং গত নভেম্বরে তাদের গবেষণার তথ্য চিকিৎসা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ পায়। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা মিজ ফলবিগের শরীরে পাওয়া এই জিনের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখতে পান যে এটি বেশ মারাত্মক ধরনের এবং এই জিন যে কোন সময়ে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে এবং ছোট শিশুরা ঘুমের মধ্যে এর শিকার হয়ে মারা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানেরই মারা যাবার আগে প্রদাহ হয়েছিল এবং তারা মনে করছেন ওই প্রদাহের কারণে দুই শিশুর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই পুত্রসন্তানের শরীরেও বিরল একধরনের জিন পাওয়া গেছে। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে এই জিন থেকে খুব শিশু বয়সে দুরারোগ্য মৃগী রোগ হতে পারে যার থেকে মৃত্যু অনিবার্য। জিন বিষয় এই গবেষণার ফলাফল থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মিজ ফলবিগের চারটি সন্তানই স্বাভাবিক কারণে মারা গেছে। মেলবোর্নের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্টিফেন কর্ডনার ২০১৫ সালে এই শিশুদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট নতুন করে পর্যালোচনা করে মত দিয়েছিলেন যে, এই শিশুদের খুন করার কোন আলামত তাদের শরীরে নেই। তাদের দম বন্ধ করার কোন লক্ষণও শিশুদের শরীরে ছিল না। তিন বছর পর, ২০১৮ সালে আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ- ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যাথিউ অর্ড অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, \"অধ্যাপক কর্ডনারের সাথে আমি একমত যে এই চারজন শিশুর প্রত্যেকেরই যে স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে তার স্বপক্ষে ব্যাখ্যা রয়েছে। মিজ ক্যাথলিন ফলবিগের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে এই পিটিশনের ফল কী হয় তার ওপরে। নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি আপিল আদালতে সম্প্রতি তার আরেকটি আবেদনের শুনানি হয়েছে। মিজ ফলবিগ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি নির্দোষ।", "doc2": "Kathleen Folbigg, photographiée après une audience au tribunal en 2004. Imaginez ensuite que vous êtes accusée à tort de les avoir tous étouffés et que vous êtes condamnée à 30 ans de prison pour quatre crimes terribles que vous n'avez pas commis. Ce récit est en train d'émerger comme étant potentiellement l'histoire vraie de Kathleen Folbigg, une mère australienne de la région de Hunter Valley en Nouvelle-Galles du Sud (NSW). Qualifiée lors de son procès en 2003 de \"pire tueuse en série d'Australie\", Kathleen Folbigg a déjà passé près de 18 ans en prison après avoir été reconnue coupable de l'homicide involontaire de son premier enfant, Caleb, et du meurtre de ses trois autres enfants, Patrick, Sarah et Laura. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Mais aujourd'hui, de nouvelles preuves scientifiques viennent bouleverser cette affaire. La semaine dernière, une pétition signée par 90 éminents scientifiques, défenseurs de la science et experts médicaux a été remise au gouverneur de Nouvelle-Galles du Sud, demandant la grâce pour Folbigg et sa libération immédiate. Parmi les signataires figurent deux lauréats du prix Nobel et deux Australiens de l'année, un ancien chef scientifique et le président de l'Académie australienne des sciences, le professeur John Shine, qui a fait le commentaire suivant : \"compte tenu des preuves scientifiques et médicales qui existent désormais dans cette affaire, signer cette pétition était la bonne chose à faire.\" Si Folbigg est libérée et que ses condamnations sont annulées, son calvaire sera considéré comme la pire erreur judiciaire de l'histoire de l'Australie - pire encore que le cas de Lindy Chamberlain, qui a purgé trois ans de prison après avoir été condamnée à tort pour le meurtre de son bébé, Azaria, à Uluru. Kathleen Folbigg (à gauche) lors de son procès pour meurtre en 2003 La pétition expose un fossé troublant dans cette affaire entre la science et le droit. Au cours de plusieurs appels et d'une enquête détaillée qui a réexaminé les condamnations de Folbigg en 2019, les juges australiens ont résolument rejeté la notion de doute raisonnable dans son cas, donnant plus de poids aux preuves circonstancielles présentées lors de son procès, et aux entrées ambiguës qu'elle a faites dans des journaux intimes contemporains. \"Il reste que la seule conclusion raisonnablement ouverte est que quelqu'un a intentionnellement causé du tort aux enfants, et que l'étouffement était la méthode évidente\", affirme Reginald Blanch, un ancien juge qui a dirigé l'enquête. \"Les preuves ne désignent personne d'autre que Mme Folbigg\". Le gouvernement de la Nouvelle-Galles du Sud a en outre assuré au public, il y a deux ans, \"qu'aucune pierre n'a été négligée\". Mais la science, de plus en plus, pointe vers la conclusion qu'il doit y avoir un doute raisonnable sur ses convictions. \"La science dans cette affaire est convaincante et ne peut être ignorée\", déclare le professeur Jozef Gecz, généticien et chercheur en génétique humaine. Le professeur Fiona Stanley, chercheur dans le domaine de la santé publique et de l'enfance, explique : \"Il est profondément inquiétant que les preuves médicales et scientifiques aient été ignorées, au profit de preuves circonstancielles. Nous avons maintenant une explication alternative pour la mort des enfants Folbigg\". Cette explication alternative réside dans la découverte récente d'une mutation génétique chez Kathleen Folbigg et ses deux filles qui, selon les scientifiques, était \"probablement pathogène\" et qui, selon eux, a causé la mort des deux filles, Sarah et Laura. Une mutation génétique différente a été découverte chez les deux garçons, Caleb et Patrick, bien que les scientifiques reconnaissent qu'ici, des recherches supplémentaires sont nécessaires. Vous pourriez également être intéressé par : La découverte initiale du gène mutant des deux filles, CALM2 et G114R, a été faite en 2019 par une équipe dirigée par Carola Vinuesa, professeur d'immunologie et de médecine génomique à l'Université nationale australienne, et une force motrice de la pétition demandant la libération de Folbigg. \"Nous avons découvert une nouvelle mutation, jamais signalée auparavant, chez Sarah et Laura, qui avait été héritée de Kathleen\", explique le professeur Vinuesa à la BBC. \"La variante se trouvait dans un gène appelé CALM2 (qui code pour la calmoduline). Les variantes de la calmoduline peuvent provoquer une mort cardiaque subite\". En novembre de l'année dernière, des scientifiques d'Australie, du Danemark, de France, d'Italie, du Canada et des États-Unis ont fait état d'autres découvertes dans la prestigieuse revue médicale Les recherches du Prof. Carola Vinuesa ont conduit à la découverte du gène mutant Une équipe danoise, dirigée par le professeur Michael Toft Overgaard de l'université d'Aalborg, a mené des expériences destinées à tester la pathogénicité de la variante CALM2. Ils ont constaté que les effets de la mutation Folbigg étaient aussi graves que ceux des autres variantes CALM connues, qui provoquent régulièrement des arrêts cardiaques et des morts subites, y compris chez de jeunes enfants pendant leur sommeil. Les scientifiques soutiennent : \"nous considérons que la variante a probablement précipité la mort naturelle des deux enfants de sexe féminin\". Les deux fillettes souffraient d'infections avant leur mort, et les scientifiques ont avancé l'hypothèse suivante : \"un événement arythmique fatal a pu être déclenché par leurs infections intercurrentes\". Les scientifiques ont également indiqué que Caleb et Patrick étaient tous deux porteurs de deux variantes rares du gène BSN, dont il a été démontré qu'il provoquait une épilepsie létale précoce chez la souris. Les récentes découvertes génétiques s'inscrivent dans la lignée d'avis médicaux d'experts antérieurs qui soutiennent la théorie selon laquelle les quatre enfants sont morts de causes naturelles. Le professeur Stephen Cordner, un pathologiste médico-légal basé à Melbourne, a réexaminé les autopsies des enfants en 2015 et a conclu : \"il n'y a pas de support positif de pathologie médico-légale pour l'affirmation que l'un ou l'ensemble de ces enfants ont été tués\". Et d'ajouter : \"il n'y a aucun signe d'étouffement\". Trois ans plus tard, en 2018, le pathologiste médico-légal, Matthew Orde, professeur associé clinique à l'Université de Colombie-Britannique, confie à l'Australian Broadcasting Corporation : \"fondamentalement, je suis d'accord avec le professeur Cordner, en ce sens que ces quatre décès d'enfants pourraient être expliqués par des causes naturelles.\" Aujourd'hui, comme Lindy Chamberlain avant elle, Kathleen Folbigg attend en prison le résultat de la pétition et d'une récente audience devant la Cour d'appel de Nouvelle-Galles du Sud. Elle continue de clamer son innocence. Regarder : La prison pour deux fermiers blancs qui avaient tenté d'enfermer un Noir dans un cercueil."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49995694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde/2012/09/120911_ben_laden_doctor_pakistan_fox", "doc1": "ডা. শাকিল আফ্রিদি এই প্রথমবারের মত ডা. শাকিল আফ্রিদির মামলার আদালতে শুনানি হলো। কৌসুঁলিদের অনুরোধে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত মামলা মুলতুবি করা হয়। ড. আফ্রিদির ভূমিকায় পাকিস্তান খুবই বিব্রত হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে তার নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। ২০১১ সালে পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। ড. আফ্রিদিকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় পাকিস্তানে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ডলার - পেশোয়ার হাই কোর্টের দেয়া কারাদণ্ড অনুযায়ী ড. আফ্রিদির প্রতি বছর কারাভোগের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার করে - পরিমাণ অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচিত হলে 'দুই মিনিটে' ডা. আফ্রিদিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রে ডা. আফ্রিদিকে বীর মনে করা হলেও পাকিস্তানে অনেকেই তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন। তার কারণে বাধা ছাড়াই মার্কিন নেভি সিলরা পাকিস্তানের ভেতর প্রবেশ করে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করে তার মৃতদেহ নিয়ে পাকিস্তানের বাইরে চলে যেতে সক্ষম হয়। আর তারপরই কিছুটা অস্বস্তিকর একটি প্রশ্নে উঠে আসে - পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের বিষয়টি আগে থেকে জানতো কি না। কে ���ই শাকিল আফ্রিদি ডা. আফ্রিদি খাইবারের উপজাতি অঞ্চলের শীর্ষ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত বেশকিছু টিকাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধান করেছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে অ্যাবোটাবাদ শহরে একটি হেপাটাইটিস বি কর্মসূচী পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই অ্যাবোটাবাদেই অনেকটা সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় ওসামা বিন লাদেন বসবাস করছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের পরিকল্পনা ছিল অ্যাবোটাবাদের ঐ বাসার কোনো একজন শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই করা যে ঐ শিশুদের কেউ ওসামা বিন লাদেনের আত্মীয় কিনা। ধারণা করা হয়, ডা. আফ্রিদির একজন কর্মী সেই বাসায় গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ঐ নমুনা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানে কতটা সহায়ক ছিল তা জানা যায় না। ওসামা বিন লাদেন মারা যাওয়ার ২০ দিন পর ২০১১ সালের ২৩শে মে ডা. আফ্রিদিকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। সেসময় তার বয়স চল্লিশের কোঠায়। ২০১২ সালে অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। ১৯৯০ সালে তিনি খাইবার মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক করেছেন এবং তিনি খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাকে গ্রেফতার করার পর থেকে জঙ্গি হামলা হওয়ার আশঙ্কায় তার পরিবার আত্মগোপনে রয়েছে। আত্মগোপনে যাওয়ার আগে তার স্ত্রী অ্যাবোটাবাদের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে - ২টি ছেলে এবং একটি মেয়ে, যাদের অন্তত ২ জন বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেন যে ডা. আফ্রিদি তাদের হয়ে কাজ করেছেন। পাকিস্তানের এক তদন্ত অনুযায়ী, সিআইএ যখন তাকে নিয়োগ দেয় তখন তিনি জানতেন না যে তাদের অভিযানের লক্ষ্য কী। কোন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে? প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হলেও, ২০১২ সালের মে মাসে যখন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলামকে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি আদালত তাকে শুরুতে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিলেও পরে আবেদন সাপেক্ষে তা কমিয়ে ২৩ বছর করা হয়। ২০১২ সালে জেল থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেন যে পাকিস্ত��নি গোয়েন্দা বাহিনী তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করেছে। একবছর পর তার আইনজীবীদের কাছে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠাতে সক্ষম হন তিনি - যেখানে তিনি দাবি করেন যে তিনি বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনা হলো না? এই বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, বিন লাদেনের বিষয়টি পাকিস্তানের জন্য বড় একটি ঘটনা ছিল। কর্তৃপক্ষ মার্কিন অভিযানের বিষয়টিকে সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে দেখে এবং যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেসময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বাধ্য হয়ে স্বীকার করতেই হয় যে ওসামা বিন লাদেন যে বেশ কয়েকবছর ধরে ঐ এলাকার একটি তিন তলা বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, সে সম্পর্কে তাদরে কোনো ধারণা ছিল না। ২০১১ সালের মে মাসে বিন লাদেনের বাড়ি থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিচ্ছে সৈন্যরা তৎকালীন হোয়াইট হাউজ সন্ত্রাস দমন বিভাগের প্রধান জন ব্রেনান মন্তব্য করেছিলেন যে বিন লাদেন পাকিস্তানে কোনো 'সহায়তা ছাড়াই বসবাস করছিলেন, তা ধারণাতীত', তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাই ডা. আফ্রিদিকে মার্কিন অভিযানে তার নেয়া ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত করা আরো নেতিবাচক প্রচার হবে বলে ধারণা করা হয়। কেন এখন তার মামলা আদালতে গড়ালো? এখন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলের সীমান্ত অপরাধ বিধি অনুসারে, যেটি আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীনে থাকা আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলোতে গত বছর পর্যন্ত বলবত ছিল। সেসব এলাকার উপজাতিদের পরিচালিত আদালত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে, স্থানীয় উপজাতিদের কাউন্সিলের সহায়তায় পরিচালিত হতো এবং তারা যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে বাধ্য ছিল না। কিন্তু গত বছর খাইবার পাখতুনওয়ালার সাথে উপজাতি এলাকাগুলো একত্রিত হয়ে গেলে উপজাতিদের আদালতের মামলাগুলোও পাকিস্তানের আদালতের অধীনে আসে। পরবর্তী শুনানিতে ডা. আফ্রিদির কারাদণ্ডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হতে পারে অথবা বাড়তেও পারে। গত বছরে পেশোয়ারের একটি কারাগার থেকে পাঞ্জাবের একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। তারপর থেকেই এমন আলোচনা তৈরি হয়েছে যে তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে। জল্পনা রয়েছে অভিযুক্ত আল কায়েদা সদস্য আফিয়া সিদ্দিকি, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করছেন, তার স���থে বন্দী বিনিময় করা হতে পারে ডা. আফ্রিদিকে। ।", "doc2": "La résidence de Ben Laden suite à l’attaque des services secrets américains. Dans une interview par téléphone à FOX News depuis sa prison de Peshawar, docteur Shakil Afridi a affirmé que les services secrets pakistanais considéraiennt les Etats Unis comme leur pire ennemi. Il a precisé que les Etats Unis étaient plus détestés par les services secrets pakistanais que leur ennemi de toujours, l’Inde. Shakil Afridi a révélé avoir été torturé durant sa détention. On lui attribue une déclaration comme ayant marqué sa satisfaction à l’égard du travail effectué par la CIA dans l’assassinat de Ben Laden. Shakil Afridi a été condamné à 32 ans de prison pour son lien présumé avec un groupe subversif, mais, les analystes estiment que son action dans l’assassinat du chef du mouvement terroriste, serait la principale motivation de sa condamnation."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53685000", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53781293", "doc1": "নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন, যিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত, যদিও তিনি গত শতাব্দীর ৭০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। নির্বাচনের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে জনমত যাচাইকারী কোম্পানিগুলো সারা দেশে লোকজনের পছন্দ অপছন্দ জানতে ততোই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ভোটারদের তারা প্রশ্ন করছে তারা কোন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে আগ্রহী। প্রার্থীরা জাতীয়ভাবে কে কেমন করছেন? সারা দেশে জনপ্রিয়তার দৌড়ে কোন প্রার্থী কতোটা এগিয়ে আছেন সে বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত জরিপ বা সমীক্ষা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে এসব জরিপ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আগে থেকে আন্দাজ করা কঠিন। উদাহরণ হিসেবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই নির্বাচনের আগে জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে তিনি ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হেরে যান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ নির্বাচনী ব্যবস্থা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির কারণে এরকম হয়েছে। ফলে বেশি ভোট পেলেই নির্বাচনে জয়ী হবেন সেটা সবসময় নিশ্চিত করে বলা যায় না। এবছর জাতীয় পর্যায়ে যতো জরিপ হয়েছে তার বেশিরভাগ ফলাফলেই জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন। গত কয়েক সপ্তাহে যেসব জরিপ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মি. বাইডেনের প্রতি সমর্থন ৫০% এর কাছাকছি। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন ১০ প��়েন্টে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েকদিনে এই দূরত্ব কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। চৌঠা আগস্টের জরিপে দেখা যচ্ছে জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন যেখানে ৪৯%, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেছনে সমর্থন ৪৫%। গত নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প কার অবস্থান কোথায় এই চিত্রটা ততোটা পরিষ্কার ছিলো না। এবার দুই প্রার্থী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি, কোথাও কোথাও ৫% থেকে ১০%। অথচ ২০১৬ সালের জনমত জরিপগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে ব্যবধান ছিলো সামান্য কিছু পয়েন্ট। ফলাফল নির্ভর করবে কোন কোন রাজ্যের ওপর? গত নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয় থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে কোন প্রার্থী কতো বেশি ভোট পেয়েছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন রাজ্যে কোন প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন। সাধারণত বেশিরভাগ রাজ্যেই সবসময় একই রকমের ভোট পড়ে। কিছু ‍কিছু রাজ্য আছে যেখানে দুজন প্রার্থীর যে কেউ বিজয়ী হতে পারেন। এসব রাজ্যেই নির্ধারিত হবে কে নির্বাচনে জয়ী আর কে পরাজিত হবেন। জয় পরাজয়ের যুদ্ধটা হয় সেখানেই আর তাই এসব রাজ্যকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটস। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোন রাজ্যের কতো ভোট সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। ২০২০র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে রাজ্যগুলোকে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট রয়েছে টেক্সাস রাজ্যের- ৩৮। ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে তাকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। তাই প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে থাকেন। ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে কে এগিয়ে বর্তমান জরিপের ফলাফল জো বাইডেনের পক্ষে। কিন্তু নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি। যে কোন সময় এই ফলাফল দ্রুত বদলে যেতে পারে। জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মি. বাইডেন মিশিগান, পেনসালভেনিয়া এবং উইসকন্সিন রাজ্যে এগিয়ে আছেন। এই তিনটি শিল্প এলাকা। এসব রাজ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ১% এরও কম ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখনকার জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব রাজ্যে এগিয়ে আছেন সেগুলো হচ্ছে – জর্জিয়া, আইওয়া এবং টেক্সাস। কিন্তু এখানে ব্যবধান খুব সামান্য। গত নির্বাচনেও এসব রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ব্যবধান ছিল আরো অনেক বেশি। জো বাইডেন এগিয়ে আছেন যেসব রাজ্যে: অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসালভেনিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকন্সিন। জো বাইডেনের জন্যে ভালো খবর হচ্ছে এসব রাজ্যে তিনি বড় রকমের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসব রাজ্যের অধিকাংশগুলোতেই ব্যপক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মি. ট্রাম্প। কিন্তু এসব রাজ্যে এখন এগিয়ে গেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এখন এটাই দুশ্চিন্তার কারণ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে রয়েছে প্রবল বিতর্ক। ২০১৬ সালের নির্বাচনে আইওয়া, ওহাইও এবং টেক্সাসে তিনি ৮% থেকে ১০% ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন জো বাইডেনের সাথে তার অবস্থান প্রায় সমান সমান। এসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন গত জুলাই মাসে তার নির্বাচনী প্রচারণার দলের ম্যানেজার বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও মি. ট্রাম্প এসব জনমত জরিপকে প্রায়শই ‘ভুয়া’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। বেটিং কোম্পানিগুলো অবশ্য এখনই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাতিল করে দিচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছে, তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখনও এক তৃতীয়াংশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে কিছু তথ্য ২০২০ নির্বাচনে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রভাব ফেলবে? স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তরাষ্ট্রকে কী দিতে চান ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থীরা? করোনাভাইরাসের কারণে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেছে? এ বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম দখল করে আছে করোনাভাইরাস। মহামারির পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে কথা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব ব্যবস্থা নিয়েছেন তার পক্ষে সমর্থন তুঙ্গে ওঠে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে। তখন তিনি সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন এবং ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজ্যগুলোর জন্য ঘোষণা করেছিলে��� পাঁচ হাজার কোটি ডলার। শীর্ষস্থানীয় একটি জরিপ কোম্পানি ইপসসের হিসেব অনুসারে সেসময় ৫৫% আমেরিকান তার গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাট দলের যারা তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন পরে তারা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখেন। তবে অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে তার গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করছে। সর্বসাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরাও এখন তার নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তারা সমালোচনায় সরব হয়েছে। জুলাই মাসের শুরুতে তার প্রতি রিপাবলিকানদের সমর্থন কমে ৭৮%-এ নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো একারণে করোনাভাইরাস সম্পর্কে তার বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। শুরুতে তিনি বলেছিলেন এই ভাইরাস একসময় “আপনা আপনি চলে যাবে” কিন্তু এখন তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, “পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে মহামারি আরো খারাপ রূপ” নিতে পারে। শুধু তাই নয়, এর আগে তিনি মাস্ক পরার সমালোচনা করতেন কিন্তু এখন তিনি নিজেই মাস্ক পরছেন। এবং আমেরিকানদের প্রতি মাস্ক পরার আহবান জানিয়ে “দেশপ্রেমের” পরিচয় দেওয়ার কথা বলছেন। ৩রা নভেম্বর ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন যে তারা হোয়াইট হাউসে মি. ট্রাম্পকে আরো চার বছরের জন্য দেখতে চান কিনা। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মডেল অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে অর্থাৎ ১লা নভেম্বরের মধ্যে করোনাভাইরাসে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এসব জরিপ কি আমরা বিশ্বাস করতে পারি? আগের নির্বাচনের জনমত জরিপ ভুল প্রমাণ হয়েছিল- এটা বলে আমরা খুব সহজেই এসব সমীক্ষা বাতিল করে দিতে পারি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও প্রায়শ একাজটা করে থাকেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য নয়। বেশিরভাগ জাতীয় জরিপে হিলারি ক্লিনটনকে সামান্য পয়েন্টে এগিয়ে রাখা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তারা ভুল করেছে। এটাতো ঠিক যে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। আগের নির্বাচনের জনমত জরিপগুলোতে কিছু সমস্যা ছিলো। সেসব জরিপ ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরতে ���্যর্থ হয়েছে। জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবার তাদের সেই ত্রুটি কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু তারপরেও এবারের পরিস্থিতি আরো কঠিন, আরো অনিশ্চিত। এর কারণ করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং নভেম্বরে মানুষের ভোটের ওপর এই মহামারি কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। কেননা নির্বাচনের এখনও আরো কয়েক মাস বাকি।", "doc2": "Le président républicain est contesté par le candidat du parti démocrate Joe Biden, plus connu comme le nom de vice-président de Barack Obama, mais présent dans la politique américaine depuis les années 1970. À l'approche du jour des élections, les instituts de sondage tenteront de jauger l'humeur de la nation en demandant aux électeurs quel candidat ils préfèrent. Nous suivrons ces sondages ici et tenterons de déterminer ce qu'ils peuvent et ne peuvent pas nous dire sur le candidat qui gagnera les élections. Comment se débrouillent les candidats à la présidence au niveau national ? Les sondages nationaux sont un bon indicateur de la popularité d'un candidat dans l'ensemble du pays, mais ils ne sont pas nécessairement un bon moyen de prédire le résultat de l'élection. En 2016, par exemple, Hillary Clinton a pris la tête des sondages et a remporté près de trois millions de voix de plus que Donald Trump, mais elle a quand même perdu - c'est parce que les États-Unis utilisent un système de collège électoral, de sorte que remporter le plus de voix ne vous fait pas toujours gagner l'élection. Cela mis à part, Joe Biden a devancé Donald Trump dans les sondages nationaux pendant la plus grande partie de l'année. Il a oscillé autour de 50 % ces dernières semaines et a parfois eu 10 points d'avance. En revanche, en 2016, les sondages étaient beaucoup moins clairs et seuls quelques points de pourcentage séparaient M. Trump et sa rivale d'alors, Hillary Clinton, à plusieurs reprises à l'approche du jour des élections. Quels sont les États qui décideront de cette élection ? Comme l'a découvert Mme Clinton en 2016, le nombre de voix que vous gagnez est moins important que l'endroit où vous les gagnez. La plupart des États votent presque toujours de la même manière, ce qui signifie qu'en réalité, il n'y a qu'une poignée d'États où les deux candidats ont une chance de gagner. Ce sont les endroits où l'élection sera gagnée et perdue et qui sont connus comme les États du champ de bataille. In the electoral college system the US uses to elect its president, each state is given a number of votes based on its population. A total of 538 electoral college votes are up for grabs, so a candidate needs to hit 270 to win. As the map above shows, some battleground states have a lot more electoral college votes on offer than others so candidates often spend a lot more time campaigning in them. Qui gagne les États-pivots? Pour l'instant, les sondages dans les États du champ de bataille semblent favorables à Joe Biden, mais il reste encore beaucoup de chemin à parcourir et les choses peuvent changer très rapidement, surtout lorsque Donald Trump est impliqué. Les sondages suggèrent que M. Biden est en tête dans le Michigan, la Pennsylvanie et le Wisconsin, trois États industriels que son rival républicain a gagnés par moins de 1 % de marge pour s'imposer en 2016. Mais ce sont les États-pivots où M. Trump a remporté une grande victoire en 2016 qui inquiéteront le plus son équipe de campagne. Sa marge de victoire dans l'Iowa, l'Ohio et le Texas était de 8 à 10 % à l'époque, mais il est actuellement au coude à coude avec M. Biden dans ces trois États. Ces chiffres peuvent expliquer sa décision de remplacer son directeur de campagne pour la réélection en juillet et ses références régulières aux \"faux sondages\". Cependant, les marchés des paris ne font certainement pas encore l'impasse sur M. Trump. Les dernières cotes lui donnent encore environ une chance sur trois de gagner le 3 novembre. Le coronavirus a-t-il affecté les chiffres de Trump ? La pandémie de coronavirus a fait la une des journaux américains depuis le début de l'année et la réaction aux actions du président Trump a été divisée, comme on pouvait s'y attendre, en fonction des partis. Le soutien à son approche a atteint son apogée à la mi-mars après qu'il ait déclaré une urgence nationale et mis 50 milliards de dollars à la disposition des États pour arrêter la propagation du virus. À ce stade, 55 % des Américains ont approuvé ses actions, selon les données d'Ipsos, une société de sondage de premier plan. Mais tout soutien qu'il a reçu des démocrates a disparu par la suite, tandis que les républicains ont continué à soutenir leur président."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46009020", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45796576", "doc1": "সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড়। শুধু তুরস্ক নয়, পশ্চিমা আরো কিছু দেশ, সৌদি আরবের সাথে যাদের বহুদিন ধরে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক, তাদের জন্যেও এই ঘটনা বড় ধরনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বলা হচ্ছে, নিষ্ঠুর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি আগামী কয়েক দশক ধরে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন, তার চরিত্র সম্পর্কে সত্যিকারের একটা চিত্র ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। মি. খাসোগজিকে খুন করার ঘটনায় খুব বেশি বিচলিত যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করেছিল পুরো ঘটনার রেশ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হয়ে যাক, কিন্তু মার্কিন রাজনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই এমন একটি ঘটনার পর সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে যাচাই করে দেখার দাবি জানিয়েছেন। বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন, জামাল খাসোগজিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে তার মৃতদেহ কোথায় ও কীভাবে গুম করা হয়েছে- যখন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে, তখন যে প্রশ্নটি সবার আগে সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে তা হলো কে তাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাওয়া যাবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে সৌদি সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের আদেশ এসে থাকতে পারে। এই সৌদি যুবরাজ এমবিএস নামে পরিচিত, দেশের বহু ক্ষমতা এখন যার হাতে। অনেক সৌদি বিশেষজ্ঞ মনে করেন উপরের মহলের আদেশ ছাড়া এরকম একটি হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব। তবে এমবিএস এর সাথে কতোটা সরাসরি জড়িত সেনিয়ে এখনও স্পষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যিনি এমবিএস নামে বেশি পরিচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- তুরস্কের কাছে এবিষয়ে আর কী ধরনের তথ্য আছে? আরো পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যার অডিও রেকর্ডিং শুনলেন সিআইএ প্রধান হারিয়ে যাওয়া সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচকরা খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব বিবিসির সাংবাদিক জনাথন মার্কাস বলছেন, তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সৌদি যুবরাজের সাথে অনেকটা ইঁদুর-বিড়া��ের মতো খেলছেন। \"এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে লোকজনকে তিনি যা বলছেন, মনে হচ্ছে তিনি তার চাইতেও বেশি জানেন। কিন্তু কতোটা বেশি জানেন ও কী জানেন সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।\" \"প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, আইনগত সব ধরনের ব্যবস্থাই তারা নিচ্ছেন, কিন্তু নাটকীয়তাও ধরে রেখেছেন তিনি। কারণ তিনি চান এমবিএসকে যতোটা সম্ভব চাপের মধ্যে রাখতে,\" লিখেছেন মি. মার্কাস। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় সুন্নি অধ্যুষিত ও নিয়ন্ত্রিত দুটো দেশ- সৌদি আরব ও তুরস্ক। তারা উভয়েই চাইছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে আরো বৃহত্তর নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একদিকে তুরস্কের ভেতরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে আবার একই সাথে ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্যেও এটি একটি সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। বিবিসির সাংবাদিক জনাথন মার্কাস বলছেন, শুধু তাই নয়, মি. এরদোয়ান যদি সৌদি আরবের ওপর এই চাপকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে পারেন এবং সময় মতো সেটা ব্যবহার করেন তাহলে তিনি হয়তো সৌদি আরব থেকে আরো বেশি বিনিয়োগ অথবা অর্থনৈতিক সাহায্য আদায় করে নিতে পারবেন যা তুরস্কের দুর্বল অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চাঙা করবে। জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান তুরস্কের জন্যে এটা এতোটা সহজ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ঠিক ততোটাই কঠিন। কারণ ওয়াশিংটনকে একদিকে যেমন নিজেদের স্বার্থ দেখতে হবে তেমনি অন্যদিকে তারা যেসব রাজনৈতিক মূল্যবোধের কথা বলে সেগুলোকেও রক্ষা করতে হবে। এটা শুধু সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। দুটো দেশের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক এই অস্ত্র বিক্রি তার একটি অংশ মাত্র। এই সম্পর্কের পেছনে আরো রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ। একসময় এই সম্পর্কের একেবারে কেন্দ্রে ছিল তেল। কিন্তু সেই নির্ভরতা এখন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এই দুটো দেশের সম্পর্কে এর আগেও টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবের ক্ষমতাবলয়ে এমবিএসের আবির্ভাবের পর এটি আরো জটিল রূপ নিয়েছে। ক্ষমতায় এসেই তিনি দেশের ভেতরে সংস্কারের যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলো তার গৃহীত নীতিমালার বহু খারাপ দিককেও ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। \"কিন্তু খুব বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখতে পারেনি। কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টার মূল নায়ক হিসেবে দেখা হয় তাকেই। লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে কিছুদিনের জন্যে অপহরণ করে আটকে রাখার জন্যেও তাকে দায়ী করা হয়। মানবাধিকার নিয়ে কানাডার সঙ্গে সম্প্রতি যে তর্কাতর্কি হয়েছে এবং সর্বোপরি ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের পেছনেও দেখা হয় এই এমবিএসকেই,\" লিখেছেন সাংবাদিক জনাথন মার্কাস। এসব কারণে ওয়াশিংটনে অনেকেই মনে করেন এমবিএসের গৃহীত নীতিমালা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক তো নয়ই, বরং এর বিপরীত হিসেবেই কাজ করছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে কারণ ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নীতিমালার সব ডিম রেখেছেন এমবিএসের ঝুড়িতে। এসব নীতিমালার মধ্যে রয়েছে তিনটি লক্ষ্য। প্রথমত: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করা, দ্বিতীয়ত: ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি বিরোধের নিষ্পত্তিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা দিয়েছেন তার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃতীয়ত: যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিও, সেটা হচ্ছে সৌদি আরবকে সাথে নিয়ে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। আর এসব কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে মি. খাসোগজির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ফলে মি. ট্রাম্পের শাসনামলে সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে যাচাই করে দেখার হয়তো কোন সুযোগ নেই। সৌদি বাদশাহ সালমানের সাথে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তাহলে সৌদি আরব কি এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যার ফলে যুবরাজ এমবিএসের ক্ষমতায় লাগাম পরানো হবে? কিন্তু গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক ফোরামের এক সম্মেলনে এমবিএসকে দেখে মনে হয়েছে দেশের ভেতরে তার কোন ধরনের সমস্যা নেই। রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা সাইড-লাইনে থেকে সবকিছু দেখছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ভাষ্যকে বিশ্বাস করে নিতে বলছে। এর কারণ হয়তো এই যে রাশিয়াও এখন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেও চান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব ও ভূমিকা বাড়াতে। সৌদি আরবের পক্ষেও খুব দ্রুত অস্ত্রের জন্যে পশ্চিমা দেশ থেকে চীনের দিকে সরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমা অস্ত্র, প্রশিক্ষক, উপদেষ্টা দিয়েই তারা ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনা করছে। সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ��িত্র দেশগুলোর মধ্যেও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। ফলে তারা যদি একসাথে হয়ে ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে সৌদি আরবের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কে পরিবর্তন আসার কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই, অন্তত হোয়াইট হাউজে ক্ষমতার পালাবদল না ঘটা পর্যন্ত। আরো পড়তে পারেন: পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে? পরিবহন ধর্মঘটে রাস্তায় অটোরিকশাও চলতে পারছে না বিপিএল ২০১৯- এর নিলাম: কে কোন দলে", "doc2": "Le journaliste saoudien Jamal Khashoggi Le journaliste saoudien, connu pour être un critique du pouvoir de Ryad et collaborateur du Washington Post, est porté disparu après s'être rendu au consulat de son pays à Istanbul. Dans une passe de déclarations entre la Turquie et l'Arabie Saoudite, les deux pays se rejettent la responsabilité de la disparition du journaliste. Le président turc Recep Tayyip Erdogan a mis les autorités saoudiennes au défi de \"prouver\" que le journaliste saoudien porté disparu a bien quitté le consulat saoudien à Istanbul. La police turque a annoncé samedi que 15 Saoudiens avaient fait l'aller-retour à Istanbul mardi et se trouvaient au consulat en même temps que le journaliste venu à la représentation consulaire sur rendez-vous pour des démarches administratives. A lire aussi : Une Saoudienne jugée pour une embrassade A lire aussi : Des frappes aériennes contre la province de Hodeida au Yemen A lire aussi : Le combat d'une saoudienne pour épouser l'homme qu'elle aime En Turquie, la thèse de l'assassinat de Jamal Khashoggi par des agents de Ryad qui se trouvaient parmi les 15 Saoudiens présents au consulat a circulé suscitant la colère des officiels saoudiens dans le pays. Pour montrer qu'elle n'a rien à se reprocher, l'Arabie Saoudite a autorisé une fouille de son consulat à Istanbul. Les autorités saoudiennes maintiennent que le journaliste a quitté le consulat après avoir effectué ses démarches : la Turquie exige les preuves de ce départ en image. Les États-Unis ont appelé à une \"enquête approfondie\" et transparente de la part de l'Arabie saoudite sur la disparition du journaliste, Jamal Khashoggi. Le sénateur américain Lindsey Graham, un allié de Donald Trump, a prévenu lundi l'Arabie saoudite que, si les informations selon lesquelles le journaliste saoudien Jamal Khashoggi a été assassiné sont confirmées, les conséquences seraient \"dévastatrices\" pour les relations entre Ryad et Washington."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51630063", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51629646", "doc1": "তিন দশক মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হোসনি মোবারক মিসরে গণঅভ্যুত্থানের আগে তিনি প্রায় তিন দশক দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হারান। মিসরের উত্তরাঞ্চলে কাফর আল মেসেলহায় ১৯২৮ সালের ৪ঠা মে জন্ম নেয়া মিস্টার মোবারক নিজেও সামরিক বাহিনীর লোক ছিলেন। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও তিনি ১৯৪৯ সালে মিসরের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। পরে বিমান বাহিনীতে বদলি হয়ে ১৯৫০ সালে কমিশন প্রাপ্ত হন। ১৯৭২ সালে তিনি বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। মূলত বিমান বাহিনী প্রধান ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার হওয়ার পরই তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যু্দ্ধের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলার তিনিই ছিলেন পরিকল্পনাকারী। পরে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বান���ন ১৯৭৫ সালে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মোহাম্মদ মোরসি: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্টের উত্থান ও পতন গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মিশরেরর প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা ২০১৪ সালে বিচারের সময় হোসনি মোবারক ১৯৮১ সালে আনোয়ার সাদাত সামরিক বাহিনীর হাতেই নিহত হন ও এ ঘটনায় হোসনি মোবারকও আহত হন। পরে জাতীয় গণভোটে মিস্টার মোবারক প্রেসিডেন্ট হন যেখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর ২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ লাগে মিসরে এবং এক পর্যায়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মিস্টার মোবারক। চার মাস পরেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। ২০১২ সালে যাবজ্জীবন দণ্ড হয় তার। এর ছয় মাস পর এ দণ্ড বাতিল করা হয় ও পুনরায় বিচারের আদেশ দেয়া হয়। তাকে কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে বন্দী রাখা হয়। অবশ্য ২০১৭ সালে মিসরের সর্বোচ্চ আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তিনি মুক্তি পান।", "doc2": "L'ancien président égyptien Hosni Moubarak Moubarak a passé trois décennies au pouvoir avant qu'un soulèvement populaire ne balaye son régime en Égypte. Il a été reconnu coupable de complicité dans l'assassinat de manifestants pendant la révolution. Cette condamnation a été annulée et il a été libéré en mars 2017. Sa mort a été confirmée par plusieurs médias égyptiens mardi. Plus tôt dans la journée, le site web Al-Watan a rapporté qu'il était mort dans un hôpital militaire. Moubarak a été opéré fin janvier et a été photographié avec son petit-fils alors qu'il se rétablissait. Samedi, cependant, le fils de Moubarak, Alaa, a déclaré que l'ancien président était toujours en soins intensifs. Né en 1928, Moubarak a rejoint l'armée de l'air à l'adolescence et a joué un rôle clé dans la guerre arabo-israélienne de 1973. Il est devenu président moins de dix ans plus tard, après l'assassinat du président Anouar el-Sadate. Il a joué un rôle clé dans le processus de paix israélo-palestinien. Mais malgré les milliards de dollars d'aide militaire reçus par l'Égypte pendant son mandat, le chômage, la pauvreté et la corruption ont continué à augmenter. Le mécontentement a débordé en janvier 2011, après que des manifestations similaires en Tunisie aient entraîné le renversement du président dans ce pays. Moubarak a été contraint de se retirer 18 jours plus tard. L'ancien président égyptien Hosni Moubarak quitte la prison"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46203196", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/44938265", "doc1": "মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন টেরিজা মে মন্ত্রীসভার একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে, খসড়া নিয়ে দুই পক্ষের কারিগরি পর্যায়ে কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। সপ্তাহ জুড়ে এই চুক্তির খসড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। মন্ত্রীসভার সমর্থন চাইতে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। আরও পড়তে পারেন: ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের জন্য টেরিজা মে'র প্রস্তাব ব্রিটেন একক বাজার থেকে বেরিয়ে আসবে: মে সিরিয়ায় হামলার কোন বিকল্প ছিলনা: টেরিজা মে এর আগে ডাউনিং স্ট্রীটে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়ায় ঐক্যমত হয়েছে এই খবরে ইতিমধ্যেই ডলার ও ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু পার্লামেন্ট ও মন্ত্রীসভা এখনো এই খসড়া অনুমোদন করেনি, ফলে মুদ্রার এই ঊর্ধ্বগতি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। মন্ত্রীসভার বিশেষ বৈঠক হবে আজ এদিকে, ইইউ জানিয়েছে, তারা বুধবারের ঘটনাবলীর দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু আইরিশ সরকার বলছে, আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। ব্রেক্সিটের ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করা মন্ত্রী, যেমন বোরিস জনসন এবং জেকব রিস-মগ ইতিমধ্যেই খসড়া চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, খসড়া মানতে গেলে যুক্তরাজ্য ইইউ এর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিরোধীরা চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এবং ইইউ নভেম্বরের শেষ নাগাদ ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের একটি বিশেষ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোন কোন বিষয়ে একমত দুই পক্ষ? খসড়া চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ৫০০ পৃষ্ঠার এই দলিলে মোটাদাগে ভবিষ্যতে ইইউ এর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের ধরণ কেমন হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে কোন রকম তল্লাশি চালানো হবে না এমন নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, ইইউ এর বাণিজ্য বিষয়ক নিয়মনীতির ফলে যুক্তরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে ব্রেক্সিটের পর ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ যুক্তরাজ্য যখন বেরিয়ে যাবে, তখন দেশটির নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইইউ কী বলছে? এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইইউ। অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত কোন চুক্তি হয়নি, এটি কেবলই একটি খসড়া যা নিয়ে টেকনিক্যাল বা কারিগরি পর্যায়ের কর্মকর্তা একমত হয়েছে। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা যদি আজকের বৈঠকে এতে সম্মতি না দেন, তাহলে তো সেটি আবারো আলোচনার টেবিলেই ফিরে যাবে। তবে, যদি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা এটি অনুমোদন করে, তাহলে ২৭জন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত আগামী কাল বৈঠক করবেন।", "doc2": "Le nouvel accord de pêche inclut le Sahara-Occidental Les négociateurs marocains et européens avaient annoncé vendredi s'être entendus sur le contenu du nouvel accord, cinq jours après l'arrivée à échéance du précédent. Le document qui a été paraphé mardi à Rabat par les deux parties doit encore être approuvé par les parlements européen et marocain. A lire aussi : L'UE négocie un nouvel accord de pêche avec le Maroc \"C'est un accord gagnant-gagnant\", s'est félicitée la cheffe de la délégation de l'UE au Maroc, Claudia Wiedey. Le nouvel accord permet aux navires de l'UE d'accéder à la \"zone de pêche marocaine\" en échange d'une contribution économique, qui \"passe à 52,2 millions d'euros (par an), soit une augmentation de 30%\", selon un document du ministère marocain de l'agriculture et de la pêche diffusé après la signature. A lire aussi : Un accord de pêche UE-Maroc jugé \"non applicable\" Le \"niveau des débarquements obligatoires et les catégories de pêche restent inchangées avec un nombre de navires atteignant les 128\", selon ce document. Le renouvellement de l'accord de pêche inclut désormais le Sahara occidental et la question de ce territoire avait retardé le dialogue entre les deux parties. A lire aussi : Sahara occidental : l’ONU appelée à renouveler sa mission A lire aussi : Le mandat de la Minurso prolongé En février, la Cour de justice de l'UE (CJUE) avait considéré que l'UE et le Maroc devaient renégocier certaines dispositions de leur accord de pêche car elles violaient le principe de l'autodétermination du Sahara occidental. Selon la partie marocaine, le nouvel accord doit permettre d'\"optimiser les retombées et les bénéfices pour les populations locales des zones concernées\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47706585", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47722550", "doc1": "পুরুষের শুক্রকীটে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে কাজ করবে এই বড়ি দিনে একটি করে খেতে হবে এই বড়ি। এতে আছে এক ধরণের হরমোন - যা পুরুষের দেহে শুক্রকীটের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে কাজ করবে। পুরুষদের জন্য বর্তমানে কনডম এবং ভ্যাসেকটমি ছাড়া আর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই। কিন্তু এন্ডোক্রিন ২০১৯ নামের সেই সম্মেলনে আরো বলা হয়, এ বড়ি বাজারে আসতে এক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এত সময় লাগবে কেন? যুক্তরাজ্যে মেয়েদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু হয়েছিল ৫০ বছরেরও বেশি আগে। কিন্তু পুরুষদের বড়ি চালু করতে এত সময় লাগছে কেন? অনেকে বলেন, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু করার ক্ষেত্রে 'সামাজিক ও বাণিজ্যিক ইচ্ছার ঘাটতি' আছে। কিন্তু একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে অনেক পুরুষই বলেছেন যে যদি এরকম বড়ি পাওয়া যায় - তাহলে তারা তা ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন। কিন্তু পুরুষটি যে বড়ি খেয়েছেন - সে কথা কি তার নারী সঙ্গিনী বিশ্বাস করবেন? সেটা আরেকটা কঠিন প্রশ্ন। পুরুষদের জন্য বর্তমানে কনডম এবং ভ্যাসেকটমি ছাড়া আর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জমিয়ে রাখা শুক্রাণু থেকে যমজ শিশুর জন্ম ভারতে পুরুষের শুক্রাণু কমে যাচ্ছে, ‘বিলুপ্ত হতে পারে মানুষ’ 'আমি ৮০০ সন্তানের পিতা', বলছেন এক শুক্রাণ-দাতা' যুক্তরাজ্যে ২০১১ সালে চালানো এ্যাংগলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির একটি জরিপ বলছে, ১৩৪ জন নারী উত্তরদাতার মধ্যে ৭০ জনই বলেছেন, তাদের মনে এই উদ্বেগ কাজ করবে যে তাদের পুরুষ সঙ্গীটি হয়তো বড়ি খেতে ভুলে যাবেন। তা ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জও আছে। পুরুষদের জন্য হর্মোনভিত্তিক একটি বড়ি তৈরি করার সময় বিজ্ঞানীদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে - তার যৌন অনুভূতি বা পুরুষাঙ্গের উত্থানশক্তি কমে না যায়। শুক্রকীট উৎপাদন সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষের অন্ডকোষে নতুন শুক্রকীট প্রতিনিয়তই তৈরি হতে থাকে, এবং এ উৎপাদন পরিচালনা করে নানা রকম হর্মোন। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি করতে হলে এমনভাবে এ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে - যাতে হর্মোনের স্তর কমে গিয়ে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএ বায়োমেড - যারা নতুন এই বড়ি তৈরি করেছে - তারা বলছে তারা হয়তো এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গবেষকরা বলছেন, তারা ৪০ জনের ওপর প্রথম পর্বের পরীক্ষা চালিয়েছেন, এবং তারা আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন। তারা পরীক্ষায় দেখেছেন, যারা ২৮ দিন ধরে ইলেভেন বেটা এম এন টিডিসি নামের ওই বড়িটি খেয়েছেন - তাদের হর্মোনের স্তর কমেছে, এবং বড়ি খাওয়া ছেড়ে দেবার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল খুবই কম এবং মৃদু। পাঁচ জন তাদের যৌন ইচ্ছে কমে যাবার কথা বলেছেন, দুজন বলেছেন পুরুষাঙ্গের উত্থান শক্তি কিছুটা কমে যাবার কথা। তবে তাদের যৌন ক্রিয়াশীলতা কমে যায় নি, কেউই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বড়ি খাওয়া বন্ধ করেন নি, এবং সবার দেহেই এটি 'নিরাপদ' বলে উত্তীর্ণ হয়েছে। গবেষক প্রফেসর ক্রিস্টিনা ওয়াং এবং তার সহযোগীরা এ ফলাফল নিয়ে উল্লসিত, কিন্তু সতর্ক। প্রফেসর ওয়াং বলছেন, আমাদের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে এই বড়ি শুক্রকীট উৎপাদন কমাবে কিন্তু যৌন ইচ্ছা আগের মতই থাকবে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া হিসেবে এটা কতটা কার্যকর হবে তা জানতে হলে আরো বড় আকারে এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে আরো পরীক্ষা চালাতে হবে। তিনি বলছিলেন, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য নানা উপায়ও পরীক্ষা করছেন তিনি। অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো - এ ধরণের গবেষণা এবং ওষুধ তৈরিতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কতটা আগ্রহ দেখায়। কারণ এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সমস্যা রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ৭১-এর স্বাধীনতার ঘোষণা যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে কী পড়ানো হচ্ছে শ্রেণ��কক্ষে বাটলারকে আশউইনের 'মানকড়' আউট সঠিক নাকি ভুল? 'প্রাণ বাঁচাতে নামিয়ে ফেলেছিলাম বাংলাদেশের পতাকা' 'গণতন্ত্রের শর্তগুলো ভিত্তি পায়নি ৪৮ বছরেও'", "doc2": "La pilule à prise unique quotidienne contient des hormones qui arrêtent la production de sperme. Ce serait un complément aux préservatifs ou à la vasectomie - les seules options actuellement disponibles pour les hommes en matière de contraception. Mais les médecins présents à l'assemblée annuelle de l'Endocrine Society, la plus importante association d'endocrinologues au monde, ont appris qu'il pourrait encore falloir une décennie pour la commercialiser. Libido La pilule pour femme a été lancée au Royaume-Uni il y a plus de 50 ans. Alors pourquoi est-ce si difficile pour la pilule masculine ? Certains disent qu'il y a eu moins de volonté sociétale et commerciale de faire décoller la pilule pour hommes, mais les sondages d'opinion suggèrent que de nombreux hommes envisageraient de la prendre si une pilule devenait disponible. Lire aussi : L'Afrique, championne de la fécondité L’Egypte se met au Viagra féminin Biologiquement, c'est un défi de créer une pilule à base d'hormones pour les hommes qui ne puisse pas émousser la libido et réduire les érections. Production de sperme Chez les hommes fertiles, de nouveaux spermatozoïdes sont constamment fabriqués dans les testicules, sous l'effet des hormones. Le problème est de bloquer temporairement cet effet sans abaisser les niveaux d'hormones et éviter de créer des effets secondaires. Les chercheurs espèrent que la pilule masculine, testée par des chercheurs de LA BioMed et l'Université de Washington, devrait permettre d'atteindre cet objectif. Troubles érectiles Les effets secondaires de la pilule observés lors des essais cliniques ont été peu nombreux et légers. Cinq hommes prenant la pilule ont signalé une légère baisse de leur libido - et deux ont décrit un dysfonctionnement érectile léger -, mais l'activité sexuelle n'a pas diminué, aucun participant n'a cessé de prendre le contraceptif en raison d'effets secondaires. Et ils ont tous réussi les tests de sécurité. Lire aussi : Le visage moderne de 'l'avortement à la carte' 'Je ne peux pas accoucher dans mon village' Les chercheurs à l'origine de ces travaux, le professeur Christina Wang et ses collègues, sont enthousiastes, mais prudents quant à leurs conclusions. \"Nos résultats suggèrent que cette pilule, qui combine deux activités hormonales en une seule, diminuera la production de spermatozoïdes tout en préservant la libido\", dit-elle. Mais des essais plus importants et plus longs sont nécessaires pour vérifier l'efficacité de ce moyen de contraception. Gel corporel Ce n'est pas le seul prototype de contraceptif masculin hormonal que le professeur Wang a testé. Elle et ses collègues ont mis au point un gel corporel que des hommes au Royaume-Uni vont essayer dans le cadre d'un essai international. Les utilisateurs l'appliquent quotidiennement sur le dos et les épaules, où il peut être absorbé par la peau. L'hormone progestative contenue dans le gel bloque la production naturelle de testostérones dans les testicules, réduisant la production de spermatozoïdes à des niveaux faibles ou inexistants, tandis que la testostérone de remplacement contenue dans le gel maintient la libido et les autres fonctions qui dépendent de cette hormone. Troubles de l'humeur D'autres scientifiques ont essayé d'administrer des hormones contraceptives à action prolongée par piqûre tous les deux mois. Mais certains cobayes ont signalé des effets secondaires, notamment des troubles de l'humeur ou des dépressions. Lire aussi : Le Nigeria \"ne limitera pas le nombre d'accouchements\" Macron enflamme la toile Pour les hommes qui n'ont pas envie de prendre des hormones, les chercheurs ont cherché des moyens de bloquer le flux de sperme, l'empêchant de quitter le pénis - une sorte de vasectomie non chirurgicale. Vasalgel - un matériau polymère injecté dans les deux canaux, qui transporte les spermatozoïdes des testicules gauche et droite vers le pénis - est en cours de développement en tant que contraceptif masculin non hormonal, réversible et à action prolongée. Jusqu'à présent, il n'a été testé que sur des animaux, mais les chercheurs qui l'ont mis au point ont récemment reçu des fonds pour entreprendre des essais sur des humains. Un homme et des enfants sur le pas de leur porte, dans un village de la province du Zou, au Bénin Marché potentiel Richard Anderson, de l'Université d'Edimbourg, dirige l'un des essais britanniques du gel contraceptif pour hommes. Il déclare que l'industrie pharmaceutique avait mis du temps à se rallier à l'idée d'un nouveau contraceptif masculin, en dépit de la bonne preuve que les hommes et leurs partenaires féminins seraient favorables à cette offre supplémentaire. \"Je pense que l'industrie n'a pas été convaincue de l'existence d'un marché potentiel\", dit-il. Histoire mouvementée \"Ce qui est important, c'est qu'il y ait suffisamment d'intérêt de la part des compagnies pharmaceutiques pour mettre ce produit sur le marché, si les essais sont couronnés de succès\", souligne Allan Pacey, professeur d'andrologie à l'Université de Sheffield. \"Malheureusement, jusqu'à présent, il y a eu très peu d'intérêt de la part des compagnies pharmaceutiques pour la mise sur le marché d'une pilule contraceptive masculine, pour des raisons que je ne comprends pas entièrement, mais que je soupçonne être surtout liées aux affaires qu'à la science\", conclut-il. A regarder : Au Niger, des hommes en formation sur le contrôle des naissances"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54082931", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54085254", "doc1": "অক্সফোর্ডের টিকা নিচ্ছেন একজন স্বেচ্ছাসেবী ব্যাখ্যা করা যায় না, এমন অসুস্থতার কারণে এরকম বিরতিকে 'রুটিন' কাজের অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই টিকার ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বিশ্ব জুড়ে যেসব চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে। সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই টিকাটি সবার আগে বাজারে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীদের ওপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে। অনেক সময় সেটা কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে? টিকার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যেসব রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার বিষয়ে কী বলা হচ্ছে? এই টিকাটির সব ধরণের আন্তর্জাতিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, যতদিন না স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষক এর নিরাপত্তার বিষয়গুলো যাচাই করে দেখবেন। এরপর তদারকি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন যে, পুনরায় পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে কিনা। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফারগাস ওয়ালশ এই তথ্য জানিয়েছেন। ''বড় ধরণের পরীক্ষায় অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে সেটা অবশ্যই স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষককে সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে,'' অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, অক্সফোর্ডের এই টিকাটির পরীক্ষা এর আগেও একবার স্থগিত করা হয়েছিল। বড় ধরণের পরীক্ষায় এ ধরণের ঘটনা অনেক সময় ঘটে থাকে। যখন কোন অংশগ্রহণকারীর অসুস্থতার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়না, তখন অনেক সময় তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই আবার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে। যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করেছে, সেই স্ট্যাট নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একজন অংশগ্রহণকারীর শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাৎক্ষণিকভাবে যার কারণ জানা যায়নি। তবে তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এটিএম সেবা নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকছে কেন? হত্যার আগে থেকেই কীভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল খাসোগজিকে মানসিক উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন যে বিষয়গুলো দেখবেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন কোথায় রয়েছে বিশ্ব? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই তিনি একটি টিকা দেখতে চান। তবে তার এই মন্তব্য আশঙ্কা তৈরি করেছে যে, রাজনীতির কারণে নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই না করেই টিকা উৎপাদনের চেষ্টা হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে চেষ্টা করছে, এমন নয়টি প্রতিষ্ঠান গত মঙ্গলবার বিরল এক ঘোষণায় নিশ্চিত করেছে যে, টিকা উৎপাদনে তারা সবরকম বৈজ্ঞানিক এবং গুণগত মান বজায় রাখবে। ওই ঘোষণায় অংশ নেয়া নয়টি প্রতিষ্ঠানের একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যারা বলছে, তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের আবেদন করা হবে। জনসন এন্ড জনসন, বাইয়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লেইন, পিফিজের, মের্ক, মর্ডানা, সানোফি এবং নোভাভ্যাক্সও ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ''তারা সবসময়েই নিরাপত্তা এবং টিকা দেয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে।'' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে এর কোনটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। সংস্থাটি বলছে, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষার নিয়মনীতি মেনে কোন টিকাই এই বছরের ���ধ্যে আসতে পারবে বলে তারা মনে করে না। কারণ এসব টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই করতে সময় লাগে। তা সত্ত্বেও চীন এবং রাশিয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। সেসব টিকাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় পরীক্ষামূলক হিসাবে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আভাস দিয়ে বলছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয়া হতে পারে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "AstraZeneca l'a décrit comme une pause \"de routine\" dans le cas d'une \"maladie inexpliquée\". Les résultats des essais de vaccins sont surveillés de près dans le monde entier. Le vaccin d'AstraZeneca-Oxford University est considéré comme un concurrent sérieux parmi les dizaines de vaccins mis au point dans le monde. On espère que le vaccin sera l'un des premiers à être mis sur le marché, après des essais de phase 1 et 2 réussis. Le passage à la phase 3 des essais ces dernières semaines a impliqué près de 30 000 participants aux États-Unis ainsi qu'au Royaume-Uni, au Brésil et en Afrique du Sud. Les essais de phase 3 des vaccins impliquent souvent des milliers de participants et peuvent durer plusieurs années. Stat News, le site web consacré à la santé qui a été le premier à faire connaître l'histoire, soutient que les détails de la réaction indésirable du participant britannique n'étaient pas immédiatement connus, mais cite une source qui révèle qu'il devrait se rétablir. La décision de reprendre l'essai pourrait être prise dans quelques jours"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47101652", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47104108", "doc1": "রাশিয়া বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এই চুক্তিকে লঙ্ঘন করে না। শীতল যুদ্ধের সময় করা এই চুক্তিটির নাম মধ্য-পাল্লার পরমাণু শক্তি চুক্তি যা সংক্ষেপে আইএনএফ নামে পরিচিত। এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এখন নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করবে। এর আগে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে সাময়িকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। এই চুক্তিতে দুটো দেশের সব ধরনের পরমাণু অস্ত্রসহ স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষ��ধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। \"আমাদের মার্কিন অংশীদাররা ঘোষণা করেছে যে তারা এই চুক্তি বাতিল করছে। এখন আমরাও সেটা বাতিল করছি,\" বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে তিনি বলেছেন, এবিষয়ে তাদের সব প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার জন্যে দরজা খোলা রয়েছে। আজ শনিবার পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট নেটোর মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বিবিসিকে বলেছেন, ইউরোপের সবগুলো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রকাশ করছে, কারণ রাশিয়া গত কয়েক বছর ধরেই এই চুক্তি ভঙ্গ করে আসছে। ইউরোপে তারা নতুন নতুন পরমাণু শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে।\" রাশিয়ার নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে রাশিয়াকে যে ছ'মাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটা তারা কাজে লাগাতে পারে। চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ রাশিয়া সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিতে যে পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে যে রাশিয়া সেগুলোর তৈরি করছে। তার মধ্যে রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। কোন কোন মার্কিন কর্মকর্তা এও বলেছেন যে রাশিয়া 9M729 ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করেছে, নেটোর কাছে যা SSC-8 নামে পরিচিত। এসব তথ্য প্রমাণ ওয়াশিংটনের মিত্র দেশগুলোর কাছে তুলে ধরলে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়াকে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিল চুক্তির শর্ত মেনে চলার জন্যে। তারা হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল যে অন্যথায় ওয়াশিংটনও এই চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে না। আই এন এফ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বরং বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপে ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে যা এই চুক্তির লঙ্ঘন। এরপর কী হতে পারে? শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন তার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন। তাদেরকে বলেছেন, তারা এখন নতুন অস্ত্র তৈরিকে কাজ শুরু করবেন। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এরকম কালিবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন হাইপারসনিক অস্ত্র। এসব হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। আইএনএফ চুক্তিতে সই করছেন সোভিয়েতন নেতা মিখাইল গর্বাচভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান আরো পড়তে পারেন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের ট্রাম্প-রাশিয়া বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন যে মডেলকন্যা তবে মি. পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ব্যয়বহুল অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র মোতায়েন করার আগে তারাও কোথাও স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে না। এধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার ব্যাপারে ইউরোপীয় দেশগুলো সবসময়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। \"এসব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বহন করা যায়। এগুলো শনাক্ত করা কঠিন। এগুলো পরমাণু শক্তিধর। ইউরোপের যেকোনো শহরেও আঘাত হানতে সক্ষম,\" বলেছেন নেটোর মহাসচিব। আইএনএফ চুক্তিতে কী আছে? ইরানে ৪০ বছর আগে বিপ্লব হয়েছিল যেভাবে", "doc2": "Le président Vladimir Poutine a déclaré que la Russie allait commencer à développer de nouveaux missiles. \"Nos partenaires américains ont annoncé qu'ils suspendaient leur participation au traité, et nous le suspendons aussi \", a déclaré M. Poutine samedi. \"Toutes nos propositions dans ce domaine, comme auparavant, restent sur la table, les portes des négociations sont ouvertes\", a-t-il ajouté.Après les Etats Unis, la Russie a suspendu sa participation au traité sur les armes nucléaires de portée intermédiaire (INF). A lire aussi Des sanctions plus fortes contre Moscou La Russie fait étalage de sa puissance de feu Les relations Russie-Occident sont détériorées Vendredi, les États-Unis, qui accusent depuis longtemps la Russie de violer le traité, ont officiellement annoncé qu'ils suspendaient leurs obligations dans le cadre de l'accord conclu après à la fin de la guerre froide. La Russie nie avoir développé des missiles qui violent l'accord Le traité sur les armes nucléaires de portée intermédiaire (INF) signé en 1987, abolit l'usage - par les Etats Unis et la Russie - des missiles terrestres d'une portée de 500 à 5.500 km. Plus tôt samedi, le Secrétaire général de l'OTAN, Jens Stoltenberg, a déclaré à la BBC : \"Tous les alliés [européens] sont d'accord avec les Etats-Unis parce que la Russie viole le traité depuis plusieurs années. Ils déploient de plus en plus de nouveaux missiles nucléaires en Europe.\" A lire aussi Présidentielle américaine : sanctions contre la Russie Vive tension entre la Russie et le Royaume-Uni May exige des explications à la Russie Il a également déclaré que la période de six mois accordée à la Russie par les Etats-Unis pour revenir à une conformité totale devrait être mise à profit. La Russie nie toujours avoir violé l'INF. De quoi est accusée la Russie ? Les Américains disent avoir la preuve qu'un nouveau missile russe se trouve dans la zone de portée de 500 à 5.500 km interdite par le traité. Certains responsables américains ont déclaré qu'un certain nombre de missiles 9 M 729 - appelés SSC-8 par l'OTAN - ont déjà été déployés. Le nouveau missile 9M729 de la Russie inquiète les Etats-Unis et leurs alliés Les preuves ont été présentées aux alliés de l'OTAN à Washington et ceux-ci ont tous soutenu le rapport des États-Unis. En décembre, l'administration Trump a donné 60 jours à la Russie pour se conformer de nouveau à ses obligations, faute de quoi les États-Unis cesseraient également d'en respecter les termes. En plus de nier avoir violé le traité FNI, Moscou affirme que les intercepteurs de missiles balistiques américains déployés en Europe de l'Est pourraient violer les termes de l'accord. Que pourrait-il se passer ensuite ? Lors de la réunion de samedi avec ses ministres des affaires étrangères et de la défense, le président Poutine a déclaré que les travaux sur la création de nouvelles armes commenceraient. Il s'agit notamment d'une version terrestre du missile de croisière russe Kalibr, lancé par mer, et de nouvelles armes hypersoniques qui peuvent atteindre une vitesse cinq fois supérieure à celle du son. La Russie dans les affaires américaines Mais M. Poutine a déclaré que Moscou ne se laisserait pas entraîner dans une course aux armements coûteuse et qu'elle ne déploierait pas de missiles à courte et moyenne portée si les armes américaines n'étaient pas déployées en premier. Une telle course aux armements serait une préoccupation majeure pour les pays européens. \"Ces nouveaux missiles sont mobiles, difficiles à détecter, capables d'atteindre les villes européennes et n'ont pratiquement pas de temps d'alerte, de sorte qu'ils réduisent le seuil d'utilisation potentielle d'armes nucléaires dans un conflit\", a déclaré Jens Stoltenberg de l'OTAN à la BBC. Qu'est-ce que le traité sur les armes nucléaires de portée intermédiaire (INF) ? Le dirigeant soviétique Mikhaïl Gorbatchev et le président américain Ronald Reagan ont signé le Traité FNI en 1987. ONU: 51 pays signent un traité interdisant symboliquement les armes nucléaires"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56713767", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56719759", "doc1": "বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনও গত ১৪ই মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে দেশের জ্যেষ্ঠ আলেমদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের পর জানিয়েছে, রোজা রেখে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে কোন সমস্যা নেই। ''আলোচনায় উপস্থিত আলেম সমাজ একমত পোষণ করেছেন যে, যেহেতু করোনাভাইরাসের টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয় এবং তা সরাসরি খাদ্যনালী বা পাকস্থলীতে প্রবেশ করে না, সেহেতু রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে টিকা গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না,'' ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রমজানের সময় দিনের বেলায় মুসলমানরা খাবার ও পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। ইসলামিক শিক্ষায় বলা হয়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শরীরের ভেতরে কিছু প্রবেশ করানো থেকে মুসলমানদের বিরত থাকা উচিত। কিন্তু লিডসের একজন ইমাম, কারী আসিম বলছেন, টিকা যেহেতু পেশীতে দেয়া হয়, রক্তের শিরায় যায় না, এটি পুষ্টিকর কিছু নয়, সুতরাং টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। ''ইসলামী চিন্তাবিদদের বেশিরভাগের দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, রমজানের সময় টিকা নেয়া হলে সেটা রোজা ভঙ্গ হয় না, '' বিবিসিকে বলছেন মি. আসিম, যিনি যুক্তরাজ্যের মসজিদ এবং ইমামদের জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান। মুসলমান কম্যুনিটির জন্য তাঁর বার্তা হলো: ''আপনি যদি টিকা নেয়ার উপযুক্ত হন এবং টিকা নেয়ার আমন্ত্রণ পান, তাহলে আপনার নিজেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনি কি টিকা নেবেন যা এর মধ্যেই কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে, নাকি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেবেন, যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে এবং যার ফলে হয়তো পুরো রমজানই হারাতে পারে, হয়তো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকারও হতে পারে।'' যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য সেবা নটিংহ্যাম এবং ব্রাইটনের মতো অনেক কেন্দ্র তাদের কার্যক্রমের সময় বাড়িয়েছে, যাতে মুসলমানরা তাদের রোজা ভঙ্গের পর সেখানে টিকা নিতে আসতে পারেন। আরও পড়ুন: রমজানে নিরাপদ থাকার জন্য টিকা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর তবে পূর্ব লন্ডনের সার্জারি প্রজেক্টের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ড. ফারজানা হুসেইন বলছেন, দিনের বেলায় টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। ''আমরা জানি, রমজানের সময় কোভিডের টিকা নেয়া নিয়ে অনেক মুসলমানের মধ্যে সংশয় রয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই সময় ইনজেকশন নিলে তাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে,'' তিনি বলছেন, ''কিন্তু এটা একেবারেই তা নয়, কারণ এর মাধ্যমে আসলে শরীরে কোন খাবার প্রবেশ করছে না।'' তিনি বলেন, ''কোরানে বলা আছে, তোমার জীবন রক্ষা করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: 'একটা জীবন বাঁচানো মানে হলো পুরো মানব জগতকে বাঁচানো।' সুতরাং একজন মুসলমান হিসাবে টিকা নেয়া একটা দায়িত্ব।'' যুক্তরাজ্যের মুসলমানদের মধ্যে টিকা নেয়ার হার বৃদ্ধি করার জন্য অনেক মসজিদেও টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইপসোস মোরির একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার জানুয়ারি যা ছিল ৭৭ শতাংশ, মার্চ নাগাদ তা বেড়ে হয়েছে ৯২ শতাংশ। আগামী বুধবার থেকে রমজান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যখন মসজিদে একত্রে নামাজ পড়া, অথবা একত্রে ইফতার করার চল রয়েছে। যুক্তরাজ্যে যদিও সম্প্রদায়গত প্রার্থনায় কোন বাধা নেই, তবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার বিষয়টি সবাইকে মেনে চলতে হবে এবং কোন একটি ঘরে একাধিক বাসার লোকজনের মেলামেশায় নিষেধ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইসলামিক মেডিকেল এসোসিয়েশন রমজানের সময় মসজিদগুলোর জন্য একটা নির্দেশনা জারি করেছে। সেখানে তারা তারাবীহ নামাজ সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ার পরামর্শ দিয়েছে, সেই সঙ্গে যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছে। তারা বলছে, ইমামদের অবশ্যই সঠিকভাবে ডাবল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডার্বির একজন চিকিৎসক এবং এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর বিবিসিকে বলেছেন, ''কোভিড মহামারির কারণে আমাদের কম্যুনিটির ভেতর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখেছি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এবারের রমজানে যেন কোনভাবেই মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।'' ''দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গত বছর আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকের ক্ষতি হয়েছে, এবারও হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি ��িকা গ্রহণ করতে থাকি এবং নিজেদের সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি, আমরা এই রমজানে কিছু স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করতে পারবো।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:", "doc2": "Pendant le Ramadan, de nombreux musulmans s'abstiennent de manger et de boire pendant la journée. Selon l'enseignement islamique, les musulmans doivent s'abstenir \"de tout ce qui entre dans le corps\" entre le lever et le coucher du soleil. Mais Qari Asim, un imam de Leeds, soutient qu'étant donné que le vaccin pénètre dans le muscle plutôt que dans la circulation sanguine et qu'il n'est pas nutritif, il ne constitue pas une rupture du jeûne. \"La majorité des érudits islamiques sont d'avis que la prise du vaccin pendant le Ramadan n'invalidera pas le jeûne\", indique à la BBC M. Asim, qui préside le Conseil consultatif national des mosquées et des imams. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Il dit que son message à la communauté musulmane était le suivant : \"si vous êtes éligible pour le vaccin et que vous avez reçu votre invitation, vous devez vous demander : dois-je prendre le vaccin qui a prouvé son efficacité ou risquer d'attraper le Covid, qui peut vous rendre très malade, et vous allez potentiellement manquer tout le Ramadan et peut-être finir à l'hôpital ?\" Certains sites de vaccination du NHS à Nottingham et Brighton prolongent leurs heures d'ouverture afin que les musulmans puissent venir après avoir rompu leur jeûne. Mais le Dr Farzana Hussain, médecin généraliste senior de The Surgery Project dans l'est de Londres, estime qu'il n'est pas nécessaire d'éviter les heures de la journée. \"Nous savons que beaucoup de musulmans sont un peu inquiets à l'idée de se faire vacciner contre le Covid pendant le Ramadan. Beaucoup de gens pensent que l'injection rompt le jeûne\", dit-elle. \"Mais ce n'est pas le cas, car ce n'est pas considéré comme de la nourriture\". Plus d'articles sur les vaccins contre le Covid 19 : Elle ajoute : \"le Coran dit que sauver sa vie est la chose la plus importante : 'Sauver une vie, c'est sauver l'humanité entière'. Il est de la responsabilité d'un musulman pratiquant de se faire vacciner.\" Certaines mosquées sont utilisées comme centres de vaccination dans le but de favoriser la participation des communautés minoritaires. Les sondages d'Ipsos Mori indiquent une augmentation spectaculaire du nombre de Britanniques issus de minorités ethniques qui déclarent avoir reçu, ou être susceptibles de recevoir, le vaccin - de 77 % en janvier à 92 % en mars. A regarder : Coronavirus : comment fonctionne un vaccin ? Le Ramadan, qui devrait débuter lundi soir après avoir observé la Lune, est traditionnellement marqué par des prières communes régulières dans les mosquées et des repas partagés - ou Iftars - pour rompre le jeûne après le coucher du soleil. Bien que le culte communautaire soit autorisé au Royaume-Uni, la distance sociale doit être respectée et les différentes familles ne peuvent pas se rencontrer à l'intérieur. La British Islamic Medical Association (BIMA) a publié des conseils pour les mosquées pendant le Ramadan. Elle recommande de limiter la durée de la prière du soir (Taraweeh), d'augmenter la ventilation et de faire porter aux imams \"des masques doubles correctement ajustés pour protéger les fidèles\". Le Dr Shehla Imtiaz-Umer a exhorté les gens à se faire vacciner Le Dr Shehla Imtiaz-Umer, médecin généraliste à Derby et représentante de la BIMA, déclare à la BBC : \"Nous avons vu beaucoup de ravages dans nos communautés à cause de la pandémie de Covid et nous voulons essayer de faire en sorte que nos futurs Ramadans ne soient pas affectés au même degré\". \"Malheureusement, le jeûne a été touché l'année dernière et cette année. Mais si nous continuons à prendre nos vaccins et à nous assurer que nous sommes tous protégés, nous pouvons faire en sorte que le prochain Ramadan revienne à une certaine normalité.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55182429", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55332157", "doc1": "ডিএনএ পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র: করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ পরিবর্তন করে দেবে এরকম একটা কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। বিবিসি এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল তিনজন স্বতন্ত্র বিজ্ঞানীর কাছে। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা মানবদেহের ডিএনএ-তে কোন পরিবর্তন ঘটায় না। করোনাভাইরাসের যেসব নতুন টিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে ভাইরাসটির একটি জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এটিকে বলা হয় মেসেঞ্জার আরএনএ। ব্রিটেনে সদ্য অনুমোদন করা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকাটিও একইভাবে তৈরি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জেফরি অ্যালমন্ড বলছেন, \"একজনের শরীরে যখন ইনজেকশনের মাধ্যমে আরএনএ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখন এটি মানবকোষের ডিএনএ-তে কোন প্রভাবই ফেলে না।\" এই টিকা আসলে কাজ করে মানুষের শরীরকে এক ধরনের নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে এমন এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা করোনাভাইরাসের উপরিভাগে থাকে। মানুষের শরীরের যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, এটি তখন এরকম প্রোটিন শনাক্ত করে এবং এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। বিল গেটস একটি টিকা ব্যবহার করে মানুষের ডিএনএ বদলে দিতে চান এমন দাবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে, এমন দাবি আমরা এর আগেও যাচাই করে দেখেছি। গত মে মাসে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখানেও এধরণের দাবি করা হয়েছিল। তখনও আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে আরএনএ (এমআরএনএ) ভ্যাকসিন প্রযুক্তি এর আগে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি এবং অনুমোদনও করা হয়নি। এটি সত্য যে, বর্তমান সময়ের আগে এমআরএনএ টিকা কখনও অনুমোদন করা হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে মানুষের শরীরে এমআরএনএ টিকা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আর করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে হাজার হাজার মানুষের ওপর। অনুমোদনের জন্য এই টিকাকে খুবই কঠোর এক যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যে কোন নতুন টিকা অনুমোদন পেতে গেলে যেসব নিরাপত্তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, এই নতুন টিকার ক্ষেত্রেও তাই করতে হয়েছে, যাতে করে এটিকে গণহারে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা যায়। আরও পড়ুন: যখন কোন টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলে, তখন সেটি অল্পসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হয়। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য থাকে টিকাটি নিরাপদ কি-না এবং কী পরিমাণ ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে এসব টিকা পরীক্ষা করা হয় হাজার হাজার মানুষের ওপর। এই পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা হয় টিকাটি আসলে কতটা কার্যকর। এই পর্যায়ে যাদের ওপর টিকাটির পরীক্ষা চলে তাদের দুভাগে ভাগ করা হয়। একটি গ্রুপকে টিকা দেয়া হয়। আর দ্বিতীয় গ্রুপকে দেয়া হয় প্লাসিবো, অর্থাৎ তাদের টিকা দেয়া হয়েছে বলে বলা হলেও সেখানে আসলে টিকা থাকে না। এরপর এই দুটি গ্রুপের লোককেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় কোন ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে কীনা তা দেখার জন্য। আর একটি টিকা অনুমোদন পাওয়ার পরও কিন্তু এটি নিরাপদ কি-না, তা নিয়ে পরীক্ষা অব্যাহত থাকে। বিল গেটস এবং মাইক্রোচিপ বিষয়ক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব টিকা নিয়ে আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে যে করোনাভাইরাস মহামারি আসলে একটি ষড়যন্ত্র। এর উদ্দেশ্য মানুষের শরীরে এমন একটি মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া যেটি সারাক্ষণ মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখতে পারবে। বলা হচ্ছে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এরকম কোন ভ্যাকসিন মাইক্রোচিপ আসলে নেই এবং এমন কোন প্রমানও নেই যে বিল গেটস ভবিষ্যতের জন্য এরকম কোন ষড়যন্ত্র করছেন। 'দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন' বিবিসিকে জানিয়েছে এই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। একজন টিকটকে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন যাতে দেখানো হচ্ছে শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে গত মার্চ মাসে যখন বিল গেটস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত আমাদের এক ধরনের ডিজিটাল সার্টিফিকেটের দরকার হবে, তখন এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস থেকে কে সেরে উঠেছে, কাকে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কে এই রোগের টিকা পেয়েছে সেটা জানার জন্যই এই ডিজিটাল সার্টিফিকেটের দরকার হবে। তার সাক্ষাৎকারে তিনি কোন ধরণের মাইক্রোচিপের কথা উল্লেখই করেন নি। কিন্তু এই ঘটনার পর ব্যাপকভাবে শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: \"করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিল গেটস মাইক্রোচিপ ইমপ্লান্ট ব্যবহার করবেন।\" এই প্রতিবেদনে গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থে পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছিল। গবেষণাটি ছিল এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে, যার মাধ্যমে কাউকে ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার সময়েই বিশেষ এক কালিতে সেই টিকা দেয়ার রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এই প্রযুক্তি কো�� মাইক্রোচিপ নয় এটি বরং অনেকটা একটা অদৃশ্য ট্যাটু বা উল্কির মত। \"এটি এখনও চালু করা হয়নি এবং এই প্রযুক্তি দিয়ে লোকজনকে ট্র্যাক করা অর্থাৎ তাদের ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। আর কারও কোন ব্যক্তিগত তথ্যও এর মাধ্যমে ডেটাবেজে ঢোকানো হবে না,\" বলছেন এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন গবেষক আনা জ্যাকলেনেক। এবারের মহামারিতে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সম্পর্কে আরো বহু ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। বিল গেটস প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান মূলত কাজ করে জনস্বাস্থ্য এবং টিকা উদ্ভাবন নিয়ে। একারণেই তিনি এই ধরনের গুজবের টার্গেট হয়েছেন। এসব গুজবের ব্যাপারে কোন প্রমাণ না থাকার পরও গত মে মাসে ১৬৪০ জন লোকের উপর জরিপ প্রতিষ্ঠান ইউগাভ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে ২৮ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন মিস্টার গেটস লোকজনের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢোকানোর জন্য টিকা ব্যবহার করতে চান। একই জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান সমর্থক লোকজনের মধ্যে এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা আরো বেশি, ৪৪ শতাংশ। মানব ভ্রূণের কোষ নিয়ে গুজব আমরা এরকম অনেক দাবিও দেখেছি যাতে বলা হয়েছে এই টিকায় গর্ভপাত করা একটি মানবভ্রুণের ফুসফুসের টিস্যু রয়েছে। এই এই দাবিটি ও মিথ্যে। ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের ডক্টর মাইকেল হেড বলছেন, টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের মানবভ্রূণের কোষ ব্যবহার করা হয়না। টিকা বিরোধী সবচাইতে বড় একটি ফেসবুক গ্রুপের পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল যাতে এমন একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটিতে ধারাভাষ্যদানকারী ব্যক্তি দাবি করছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা টিকার মধ্যে আসলে যে কী আছে, এই গবেষণাটি তারই প্রমাণ। কিন্তু এই ভিডিওতে ধারাভাষ্যদানকারী ব্যক্তি যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা ভুল। যে গবেষণার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে সেটিতে আসলে দেখা হয়েছে, কোন গবেষণাগারে মানবকোষে যখন টিকাটি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তখন সেখানে কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এটি নিয়ে এরকম বিভ্রান্তির কারণ হয়তো এ কারণে যে, টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় এমন একটি ধাপ আছে, যেখানে পরীক্ষার কাজে গবেষণাগারে তৈরি কোষ ব্যবহার করা হয়। এই কোষগুলো গবেষণাগারে তৈরি করা হয় এমন ভ্রুণকোষ থেকে, যা হয়তো পরীক্ষার কাজে না লাগালে নষ্ট করে ফেলা হতো। গবেষণাগারে কোষ তৈরির ���ই কৌশলটি উদ্ভাবন করা হয়েছে ১৯৬০ এর দশকে। এই গবেষণার জন্য কোন মানবভ্রুণই হত্যা করা হয়নি। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির ডক্টর ডেভিড ম্যাথিউজ বলছেন, অনেক টিকাই কিন্তু এভাবে তৈরি করা হয়। তিনি বলছেন, টিকার মধ্যে কোষের যে অবশেষ থেকে যায়, সেটা কিন্তু পুরোপুরি অপসারণ করা হয়। এই কাজটি করা হয় খুবই উচ্চ মান বজায় রেখে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাটি যারা তৈরি করেছেন, তারা বলছেন তারা ক্লোন করা মানবকোষ নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু এই কোষগুলো গর্ভপাত করা মানবশিশুর কোষ নয়। গবেষণার কাজে ব্যবহৃত মানবকোষগুলো আসলে একটি কারখানার মত, যেখানে ভাইরাসের খুবই দুর্বল একটি রূপ উৎপাদন করা হয়। এই দুর্বল ভাইরাসটিকে আবার ব্যবহার করা হয় টিকা তৈরির কাজে। তবে এই দুর্বল ভাইরাসগুলো যদিও এ ধরনের ক্লোন করা কোষ থেকে তৈরি হয়, ভাইরাসটিকে বিশুদ্ধ করার সময় সেটি থেকে এই কোষের উপাদানগুলো পুরোপুরি অপসারণ করা হয়। টিকা তৈরির কাজে এই কোষের কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় না। করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠার হার বিষয়ক দাবি কোভিড-১৯ এর টিকার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে এরকম কিছু যুক্তি আমরা দেখেছি যাতে প্রশ্ন করা হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে মৃত্যুর হার যেখানে খুবই কম, সেখানে কেন আমাদের এই টিকা নিতে হবে। যারা এই টিকার বিরোধিতা করছেন তারা একটি মিম শেয়ার করেছেন, যেখানে দাবি করা হচ্ছে ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষই করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার চেয়ে এতে আক্রান্ত হওয়াটাই আসলে অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প। টিকার ব্যাপারে মিথ্যে দাবি সম্বলিত একটি মিম যাতে র‍্যাপার ড্রেকের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে শুরুতেই বলতে হয়, এখানে আক্রান্ত হওয়া মানুষদের মধ্য থেকে সেরে উঠা মানুষের যে পরিসংখ্যানটি উল্লেখ করা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন পরিসংখ্যানবিদ জেসন ওক বলছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৯৯ শতাংশ সেরে উঠেছেন। এর মানে হচ্ছে আক্রান্ত প্রতি দশ হাজার লোকের মধ্যে ১০০ জন মানুষ মারা যাবেন। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়া মিমে বলা হচ্ছিল প্রতি দশ হাজার আক্রান্তের মধ্যে মাত্র তিন জন মারা যাবেন। সেটি আসলে ভুল। মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তবে মিস্টার ওক একটা কথা বলছেন, যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি নির্ভর করে বয়সের উপর এবং এই ঝুঁকির ক্ষেত্রে স্বল্প এবং দীর্ঘকালীন অসুস্থতা বিবেচনায় নেয়া হয় না। আর এটা তো শুধু বেঁচে যাওয়ার ব্যাপার নয়। মারা যাওয়া প্রতিটি মানুষের বিপরীতে যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদের কিন্তু খুবই নিবিড় পরিচর্যার ভেতর রাখতে হচ্ছে এবং যারা সেরে উঠছেন তাদেরকে অনেক দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর ফলে কোভিড রোগীদের চাপে অনেক স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। হাসপাতালগুলোর যে সীমিত সম্পদ, তা দিয়ে অন্যান্য রোগীদের এবং অন্যান্য অসুস্থতা এবং আঘাতের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক লিয়াম স্মিথ বলছেন, কেবলমাত্র মৃত্যুর সংখ্যার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করলে টিকা দানের আসল উদ্দেশ্যটি কিন্তু হারিয়ে যাবে। তিনি বলছেন টিকা নেয়ার ব্যাপারটিকে দেখতে হবে সমাজে অন্যদেরকে সুরক্ষা দেয়ার উপায় হিসেবে। তিনি বলেন \"যুক্তরাজ্যে এই মহামারির সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটি, লকডাউন যে জারি করতে হয়েছে, তার কারণ কিন্তু একটাই- করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। যারা বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্থ হওয়ার কারণে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের কেয়ার হোমে রাখতে হয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশংকা কিন্তু অনেক বেশি।\" প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ক্রিস ব্র্যামওয়েল, ওলগা রবিনসন এবং মারিয়ানা স্প্রিং", "doc2": "La crainte qu'un vaccin ne modifie d'une manière ou d'une autre notre ADN est une crainte régulièrement diffusée sur les réseaux sociaux. La BBC a interrogé trois scientifiques indépendants à ce sujet. Ils ont déclaré que le vaccin contre le coronavirus ne modifierait pas l'ADN humain. Certains des nouveaux vaccins, dont celui qui est maintenant approuvé au Royaume-Uni et développé par Pfizer/BioNTech, utilisent un fragment du matériel génétique du virus - ou messager ARN. A ne pas manquer sur BBC Afrique : \"L'injection d'ARN dans une personne ne modifie en rien l'ADN d'une cellule humaine\", déclare le professeur Jeffrey Almond de l'université d'Oxford. Le messager ARN donne au corps des instructions pour produire une protéine qui est présente à la surface du coronavirus. Le système immunitaire apprend ensuite à reconnaître et à produire des anticorps contre la protéine. Les allégations selon lesquelles Bill Gates prévoit d'utiliser un vaccin pour \"manipuler\" ou \"altérer\" l'ADN humain ont été largement partagées Ce n'est pas la première fois que nous examinons les affirmations selon lesquelles un vaccin contre le coronavirus est censé modifier l'ADN. Nous avons enquêté sur une vidéo populaire diffusant cette théorie en mai dernier. Les posts soulignent que la technologie du vaccin à messager ARN (ARNm) \"n'a jamais été testée ou approuvée auparavant\". Il est vrai qu'aucun vaccin à ARNm n'a été approuvé avant maintenant, mais de multiples études sur les vaccins à ARNm chez l'homme ont eu lieu ces dernières années. Lire aussi : Et, depuis le début de la pandémie, le vaccin a été testé sur des dizaines de milliers de personnes dans le monde entier et a fait l'objet d'un processus d'approbation de sécurité rigoureux. Comme tous les nouveaux vaccins, il a été soumis à des contrôles de sécurité rigoureux avant de pouvoir être recommandé pour une utilisation à grande échelle. Coronavirus : Méfiez-vous des mythes ! Lors des essais cliniques de phase 1 et de phase 2, les vaccins sont testés sur un petit nombre de volontaires afin de vérifier leur innocuité et de déterminer la bonne dose. Lors des essais de la phase 3, ils sont testés sur des milliers de personnes pour en vérifier l'efficacité. Le groupe qui a reçu le vaccin et un groupe témoin qui a reçu un placebo sont étroitement surveillés afin de détecter tout effet indésirable - les effets secondaires. La surveillance de la sécurité se poursuit après l'approbation d'un vaccin. Lire aussi : Bill Gates et les allégations relatives aux puces électroniques Venons en ensuite à une théorie du complot qui a fait le tour du monde. Elle prétend que la pandémie de coronavirus est une couverture pour un plan d'implantation de puces de traçage et que le co-fondateur de Microsoft, Bill Gates, est derrière tout cela. Il n'existe pas de \"puce électronique\" contenues dans les vaccins et rien ne prouve que Bill Gates ait l'intention d'en implanter à l'avenir. La Fondation Bill et Melinda Gates a déclaré à la BBC que cette affirmation était \"fausse\". Une utilisatrice de TikTok a créé une vidéo sur le fait de se faire injecter une \"puce électronique\" et a appelé le vaccin Covid : la \"marque de la bête\" Des rumeurs se sont répandues en mars lorsque M. Gates a déclaré dans une interview qu'à terme \"nous aurons des certificats numériques\" qui seront utilisés pour montrer qui est guéri, a été testé et a reçu un vaccin. Il n'a fait aucune mention de puces électroniques. Cela a donné lieu à un titre d'article largement partagé : \"Bill Gates utilisera des implants électroniques pour combattre le coronavirus.\" Lire aussi : L'article fait référence à une étude, financée par la Fondation Gates, sur une technologie qui pourrait stocker les dossiers de vaccination d'une personne dans une encre spéciale administrée en même temps qu'une injection. Cependant, cette technologie n'est pas une puce électronique et ressemble plutôt à un tatouage invisible. A regarder : Coronavirus : l'artémisia, un remède controversé Elle n'a pas encore été déployée et ne permettrait pas de tracer les personnes. De plus, les informations personnelles ne seraient pas saisies dans une base de données, explique Ana Jaklenec, une scientifique participant à l'étude. Le milliardaire fondateur de Microsoft a fait l'objet de nombreuses fausses rumeurs pendant la pandémie. Il a été ciblé en raison de son travail philanthropique dans le domaine de la santé publique et du développement de vaccins. Malgré l'absence de preuves, en mai, un sondage YouGov réalisé auprès de 1 640 personnes a révélé que 28 % des Américains pensaient que M. Gates voulait utiliser des vaccins pour implanter des puces électroniques dans le corps humain - ce chiffre atteignant 44 % chez les républicains. Allégations concernant les tissus du fœtus Nous avons vu des accusations selon lesquelles les vaccins contiennent des tissus pulmonaires de fœtus avortés. C'est faux. \"Aucune cellule fœtale n'est utilisée dans le processus de production des vaccins\", déclare le Dr Michael Head, de l'université de Southampton. Une vidéo particulière qui a été publiée sur l'une des plus grandes pages Facebook anti-vaccins fait référence à une étude qui, selon le narrateur, est la preuve de ce qui entre dans la composition du vaccin développé par AstraZeneca et l'université d'Oxford. Mais l'interprétation du narrateur est erronée : l'étude en question a examiné comment le vaccin a réagi lorsqu'il a été introduit dans des cellules humaines en laboratoire. La confusion a pu naître du fait qu'il y a une étape dans le processus de développement d'un vaccin qui utilise des cellules cultivées en laboratoire, qui sont les descendants de cellules embryonnaires qui auraient autrement été détruites. Lire aussi : Cette technique a été mise au point dans les années 1960, et aucun fœtus n'a été avorté pour les besoins de ce type de recherche. De nombreux vaccins sont fabriqués de cette manière, explique le Dr David Matthews, de l'université de Bristol, ajoutant que toute trace des cellules est entièrement éliminée du vaccin \"selon des normes exceptionnellement élevées\". Le Covid-19 en 60 secondes : des gargarismes d’eau salée peuvent-ils empêcher le coronavirus ? Les développeurs du vaccin à l'université d'Oxford disent avoir travaillé avec des cellules clonées, mais ces cellules \"ne sont pas elles-mêmes les cellules de bébés avortés\". Les cellules fonctionnent comme une usine pour fabriquer une forme fortement affaiblie du virus qui a été adaptée pour fonctionner comme un vaccin. Mais même si le virus affaibli est cré�� à l'aide de ces cellules clonées, ce matériel cellulaire est retiré lorsque le virus est purifié et n'est pas utilisé dans le vaccin. Revendications de taux de guérison Certains arguments contre un vaccin Covid-19 partagés par les réseaux sociaux, demandent pourquoi nous en avons besoin si les chances de mourir du virus sont si minces. Un document partagé par les personnes qui s'opposent à la vaccination a estimé le taux de guérison de la maladie à 99,97 % et a suggéré que l'infection au Covid-19 est une option plus sûre que la prise d'un vaccin. Un document utilisant des images du rappeur Drake a été utilisée pour promouvoir de fausses allégations sur les vaccins Pour commencer, le chiffre de \"taux de guérison\" mentionné dans le document - impliquant qu'il s'agit des personnes qui ont attrapé le virus et survécu - n'est pas correct. Environ 99,0% des personnes qui ont attrapé le Covid survivent, dit Jason Oke, statisticien senior à l'Université d'Oxford. Ainsi, environ 100 personnes sur 10 000 mourront, soit bien plus que les trois personnes sur 10 000, que suggèrent le document. Toutefois, M. Oke ajoute que \"dans tous les cas, les risques dépendent beaucoup de l'âge et ne tiennent pas compte de la morbidité à court et à long terme due à la maladie de Covide-19\". Il ne s'agit pas seulement de survie. Pour chaque personne qui meurt, il y en a d'autres qui vivent mais après avoir subi des soins médicaux intensifs, et d'autres qui souffrent d'effets durables sur la santé. Cela peut contribuer à surcharger les services de santé, des patients atteints de Covid concurrençant les ressources limitées d'un hôpital pour traiter les patients souffrant d'autres maladies et blessures. Se concentrer sur le taux de mortalité global, ou décomposer l'administration d'un vaccin en un acte individuel, passe à côté de l'objectif des vaccinations, déclare le professeur Liam Smeeth de la London School of Hygiene and Tropical Medicine. Cela devrait être considéré comme un effort de la société pour protéger les autres, dit-il. Lire aussi \"Au Royaume-Uni, le pire aspect de la pandémie, ce pour quoi on a décidé le confinement, était d'éviter que le service de santé soit débordé. Les groupes vulnérables comme les personnes âgées et les malades dans les maisons de retraite ont beaucoup plus de chances de tomber gravement malades s'ils attrapent le virus\". Reportages complémentaires de Kris Bramwell, Olga Robinson et Marianna Spring"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47577454", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47582313", "doc1": "আহত একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন জরুরি দায়িত্বে নিয়োজত কর্মীরা এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন নিশ্চিত করেছিলেন যে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি দেশটির ইতিহাসের \"কালো দিনগুলোর\" একটি। পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরও হামলাকারী পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন আটককৃতদের একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একজন \"মৌলবাদী, অতি-ডানপন্থী সহিংস সন্ত্রাসী\" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর আগে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় এই শহরটির পরিস্থিতিকে পুলিশ \"সংকটময় ঘটনা\" হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছে। আল নূর মসজিদ ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার পর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশী নিহত বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে সেখানে বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমার ভুইয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনজন বাংলাদেশীর পরিচয় সম্পর্কেই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের দূতাবাস এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছে। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান মি. ভুইয়া। এছাড়া, হামলার ঘটনার পর দু'জন বাংলাদেশী নিখোঁজ ছিলেন, তবে এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে দূতাবাস নিশ্চিত হয়েছে। আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে অনেক মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আল নূর নামের ওই মসজিদটি ডিন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত এবং এটি হ্যাগলি পার্কের মুখোমুখি। এই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়তে পাওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। হ্যাগলি পার্কেই অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানেই বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দলের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয় দুই দলের সম্মতিতে ১৬ই মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটাররাও লিখেছেন এই হামলার ঘটনার পর। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, \"ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় আল্লাহ আজ আমাদের রক্ষা করেছেন...আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।\" বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা খুব অল্পের জন্য ওই গোলাগুলির ঘটনা এড়াতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন \"পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।\" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে তারা মসজিদ��র ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,\"তারা নিরাপদে আছেন, কিন্তু মানসিকভাবে তারা ধাক্কা খেয়েছেন। আমরা তাদেরকে হোটেল থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।\" ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছেন জানিয়ে দলের টুইটার পেজ থেকে পোস্ট দেয়া হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক মোহাম্মদ ইসাম টুইটারে লিখেছেন, \"তারা (ক্রিকেট দল) হ্যাগলি পার্কের কাছে একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা থেকে বাঁচতে পেরেছেন।\" শহরের পরিস্থিতি ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা একজন বন্দুকধারীর হাত থেকে নিজেদের জীবন বাঁচার জন্য প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছিলেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোহন ইব্রাহীম নামে একজন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রকে বলেছেন, \"শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এটা হয়তো বৈদ্যুতিক শকের কোনও ব্যাপার, কিন্তু একটু পরেই সবাই দৌড়াতে শুরু করলো\"। বন্দুকধারীর হামলার পর পুলিশ একে \"সংকটময় ঘটনা\" বলে সতর্ক করেছে। \"এখনো ভেতরে আমার বন্ধুরা রয়েছে\" এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, \"আমি আমার বন্ধুদের ডাকতে থাকি কিন্তু সেখানে অনেকেই আছে, কারও কথা শুনতে পারিনি। আমার বন্ধু বেঁচে আছে কি-না সেটা নিয়ে আমি আমি ভীত।\" শহরতলীর লিনউড এলাকার আরও একটি মসজিদ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্যাথেড্রাল স্কয়ারে হাজার খানেক শিশুর জলবায় পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করছেন। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে এবং রাস্তায় নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।", "doc2": "Patrouille de police armée à la suite d'une fusillade à la mosquée Al Noor Le tireur est un citoyen australien décrit par le premier ministre australien Scott Morrison comme un terroriste \"d'extrême droite\". Quatre personnes - trois hommes et une femme - étaient en garde à vue dans le cadre de cette fusillade, a indiqué la police néo-zélandaise. Le premier ministre néo-zélandais, Jacinda Ardern, a qualifié ce jour de l'un des plus sombres de l'histoire de la Nouvelle-Zélande. Que savons-nous à ce stade des évènements ? Le commissaire de police néo-zélandais Mike Bush a confirmé que des \"décès multiples\" ont été enregistrés à deux endroits. Le premier signalement d'une attaque est venu de la mosqu��e Al Noor, située au centre de Christchurch. Des témoins ont dit aux médias locaux qu'ils avaient courus pour sauver leur vie et ont vu des gens saigner à même le sol à l'extérieur dans l'édifice. Nouvelle-Zélande: une question qui fâche Nouvelle-Zélande : le souffle du réacteur d'un avion tue une femme Représailles d'Israël contre le Sénégal Nouvelle-Zélande: 65 morts dans un séisme Une deuxième mosquée dans la banlieue de Linwood a été évacuée, mais il y avait moins de détails sur ce site. La police a également désamorcé \" un certain nombre d'engins explosifs improvisés (IED) attachés aux véhicules\", a précisé M. Bush. La mosquée Al Noor à Christchurch, Nouvelle-Zélande - lieu d'une des fusillades Les autorités ont conseillé à toutes les mosquées de la ville de fermer jusqu'à nouvel ordre. Des policiers armés ont également été vus à l'école secondaire Papanui à Christchurch, qui a été bouclée. Le nombre d'hommes armés n'était pas immédiatement clair. Le suspect australien aurait publié un manifeste exposant ses intentions, dans lequel il épousait une idéologie d'extrême droite et anti-immigrés. Il a également semblé avoir diffusé en direct sur Facebook à partir d'une caméra montée sur sa tête alors qu'il tirait sur des victimes dans une mosquée. La police a appelé le public à ne pas partager les images \"extrêmement pénibles\" en ligne. Facebook a déclaré qu'il avait supprimé les comptes du tireur (Facebook et Instagram) et qu'il s'employait à supprimer toute copie des séquences. Que s'est-il passé dans les mosquées ? Un survivant anonyme a dit à TV New Zealand qu'il était à la mosquée Al Noor et qu'il a vu un homme armé tirer sur un homme directement dans la poitrine. L'agresseur aurait pris pour cible la salle de prière des hommes de la mosquée, puis s'est dirigé vers les toilettes des femmes. \"Ce que j'ai fait, c'est simplement attendre et prier, Dieu s'il vous plaît, que ce type soit à court de balles\", a dit le témoin. \"Il est venu de ce côté, il a tiré sur ce côté, il est allé dans une autre pièce et est allé dans la section des dames et leur a tiré dessus. Je viens d'apprendre qu'une des dames est morte.\" Le personnel des services d'urgence transporte une personne sur une civière Un Palestinien qui a demandé à ne pas être nommé a dit à l'agence de presse de l'AFP qu'il avait entendu des coups de feu rapides et vu un homme se prendre une balle dans la tête. \"J'ai entendu trois coups de feu rapides, puis au bout d'une dizaine de secondes, ça a recommencé - ça devait être un automatique, personne ne pouvait appuyer aussi vite sur la gâchette,\" dit-il. \"Puis les gens ont commencé à s'enfuir. Certains étaient couverts de sang.\" Une deuxième mosquée dans la banlieue de Linwood a également été évacuée. Le commissaire de police a déclaré que des \"morts multiples\" ont été enregistrés à deux endroits. Comment les autorités ont-elles réagi ? De nombreuses victimes ont été transportées à l'hôpital de Christchurch, où il y avait une forte présence policière. Une porte-parole a déclaré que le Canterbury District Health Board (CDHB) avait activé son plan d'intervention en cas de pertes massives, selon le site d'information néo-zélandais Stuff.co.nz. Une capture d'écran sur google maps de la mosquée Al Noor à Christchurch La police avait auparavant fait évacuer la place de la cathédrale, où des milliers d'enfants avaient organisé un rassemblement pour lutter contre les changements climatiques. \"La police réagit avec toute sa capacité à gérer la situation, mais le contexte de risque demeure extrêmement élevé. La police recommande aux habitants de Christchurch de rester à l'intérieur et à l'extérieur jusqu'à nouvel ordre\" demande le commissaire de police Mike Bush. La fermeture de toutes les écoles de Christchurch a été levée et les parents ont été informés qu'ils pouvaient venir chercher leurs enfants."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54447583", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-39467097", "doc1": "দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার বাড়ছে। এই সময়ে নতুন করে আরও ১,৫২০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫,৪৪০ জনের মৃত্যু হলো। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১, ৭৯৮ জন। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৬.৮১ জনের বেশি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জন। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার প্রতি ১০০ টিতে ১১.৬৬ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৮.৪১ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪,২০০ জন আর নারী ১,২৪০ জন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ‍্যে বেশির ভাগের বয়স ৬০-এর উপরে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের। কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস: বাজার থেকে কেনা খাবার কতটা নিরাপদ? করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় বাংলাদেশে ফুসফুসের অসুখের যেসব মূল কারণ, যেভাবে সুস্থ রাখবেন", "doc2": "Plusieurs Etats du Nigéria sont affectés par la méningite ''Le nombre de personnes touchées s'élève à 2.524 note un communiqué du ministère. Mercredi, le Centre national de surveillance des maladies annonçait avoir recencé 1.828 cas et enregistré 269 décès. Les enfants de 5 à 14 ans sont les plus touchés et représentent environ la moitié des cas recensés, selon l'Organisation mondiale de la Santé (OMS). Les épidémies de méningites ne sont pas rares au Nigeria, qui se situe sur la \"ceinture de la méningite\" qui court du Sénégal à l'Ethiopie. Toutefois, des tests en laboratoire ont confirmé que cette méningite est d'un nouveau type (souche C). C'est la première fois qu'elle se déclare en épidémie dans le pays. Le Nigeria doit recevoir 500.000 doses de vaccins dans les prochains jours, mais un responsable du Centre nigérian de contrôle des maladies estime que pour le seul Etat de Zamfara, le plus touché par l'épidémie, 3 millions de doses seraient nécessaires. Plus de 13.700 personnes ont été infectées et près de 1.100 sont mortes lors d'une nouvelle flambée dans le pays et au Niger voisin en 2015."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/38718046", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/38717061", "doc1": "গত বছর আগস্টে গ্যালাক্সি নোট সেভেন লঞ্চ হওয়ার পরপরই তাতে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কটি ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে কোম্পানি বলছে, ফোনের সফটওয়ার বা হ���র্ডওয়ার কোনটিই নয় বরং ব্যাটারি গরম হয়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যাচ্ছিলো। ব্যাটারির ডিজাইন এবং নির্মাণেই মূল সমস্যা ছিলো। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়ে এই ভুলের দায় স্বীকার করে বলছে ব্যাটারি নির্মাতার বিরুদ্ধে তারা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। এই ফোনের ব্যাটারি নির্মাতা স্যামসাং-এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি স্যামসাং এসডিআই এবং চীনা নির্মাতা এমপেরেক্স টেকনোলজি। গত বছর আগস্টের শেষের দিকে স্যামসাং-এর স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট সেভেন বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল কাস্টমারদের কাছে। বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। বলা হচ্ছিলো এটি বাজারের সেরা এন্ড্রয়েড ফোন এবং আই-ফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বাজারে ছাড়ার পরপরই এই ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন পকেটে থাকা অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা স্বভাবতই বেশ উদ্বিগ্ন করে তোলে ব্যবহারকারীদের। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কোম্পানিটি এর বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় এবং বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে ৫০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানির। ফোনটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর মার্কিন অ্যাভিয়েশন অথরিটি এবং বেশ কয়েকটি বিমান কোম্পানি এই মডেলের সেট নিয়ে বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ করে দেয়। তবে কিছু ক্রেতা এখনো এটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আরো পড়ুন:অন্যের হয়ে কারাভোগ, প্রতারণার মামলা", "doc2": "Ces incidents ont causé des millions de dollars à Samsung et terni sa réputation. En octobre 2016, l'entreprise sud-coréenne avait annoncé l'arrêt total de la production de son smartphone Galaxy Note 7, à cause de problèmes d'ordre sécuritaire. L'entreprise avait demandé aux propriétaires de l'appareil de cesser de l'utiliser tant qu'elle n'aura pas terminé son enquête sur les cas d'incendie du téléphone. \"Les consommateurs, qu'ils aient un Galaxy Note 7 d'origine ou un modèle Galaxy Note 7 de remplacement, devraient éteindre l'appareil et ne plus l'utiliser\", ajoute-t-elle. Dans un premier temps, le 2 septembre dernier, elle avait annoncé le rappel d'au moins 2,5 millions de Note 7 en reconnaissant que la batterie de son dernier smartphone risquait de s'enflammer. Ces incidents ont causé des millions de dollars à Samsung et terni sa réputation. L'entreprise a déclaré qu'elle est désolé d'avoir inquiété ses clients et promis que cela ne se reproduira plus."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51217514", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51255143", "doc1": "চিন্তায় চুল পেকে যায় কেন? ইঁদুরের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেসব স্টেম সেল গায়ের এবং চুলের রং নিয়ন্ত্রণ করে তীব্র ব্যথা থেকে উদ্ভূত চাপে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইভাবে দেখা গেছে, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে গাঢ় রঙ এর ইঁদুরের গায়ের সমস্ত লোম পেকে স��দা হয়ে গেছে। ব্রাজিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল ধরে সামনের দিনে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলের রঙ বদলে যাওয়া ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কার সহজ হতে পারে। ত্রিশ বছরের পর নারী পুরুষ যে কারেই চুল সাদা হতে শুরু করতে পারে, যদিও স্বাভাবিকভাবে বয়স বাড়ার লক্ষণ হিসেবে চুলের রং পরিবর্তন হয়। মাত্র দুই সপ্তাহে ইঁদুরের লোমের রং পরিবর্তন হয়ে গেছে তার সাথে জিনের মানে বংশের লোকের চুল পাকার ধরণ ও সময়ের একটা সম্পর্ক থাকে। তবে, মানসিক চাপে যে চুল পেকে সাদা হয়ে যায়, এ কথা বহুকাল ধরেই প্রচলিত আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এতদিন জানতেন না, ঠিক কিভাবে সেটা হয়। সাও পাওলো ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভাড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে মেলানোসাইট স্টেম সেল সম্পর্কিত, যেটি মেলানিন উৎপাদন করে। মেলানিনের মাত্রার হেরফেরের কারণে চুল ও গায়ের রঙ এর ফারাক হয় মানুষের। নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় হার্ভাডের বিজ্ঞানী অধ্যা ইয়া-সিয়ে সু জানিয়েছেন, \"আমরা এখন নিশ্চিত যে মানসিক চাপের কারণে মানুষের চুল অকালে পেকে যেতে পারে এবং সেটা কিভাবে হয়, এখন আমরা তা জানি।\" স্থায়ী ক্ষতি গবেষকেরা বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার জন্য ইঁদুরের শরীরে তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টির মাধ্যমে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল নিঃসরণ হয়, হৃদপিণ্ডের গতি ও রক্তের চাপ বেড়ে যায়, এবং তাদের নার্ভাস সিস্টেমে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এবং চূড়ান্তভাবে এর ফলে ইঁদুরের মধ্যে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। ক্রমে এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়া হয় এবং দেখা যায় চুলের ফলিকলে থাকা মেলানিনে আঘাত করতে শুরু করে এই প্রক্রিয়া। \"আমি ধারণা করেছিলাম স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু আমাদের ফলাফলে আমরা যা দেখেছি তা কল্পনারও বাইরে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পিগমেন্ট-পুনঃরুৎপাদনকারী স্টেম সেলগুলো সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে যায়। এবং এর পর আর আপনার পিগমেন্ট তৈরি হবে না। ফলে ক্ষতিটা স্থায়ী।\" আরেক পরীক্ষায় গবেষকেরা দেখেছেন, কিছু ইঁদুরের লোমের রং পরিবর্তন থামিয়ে দেয়া হয়েছিল, তাদেরকে অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ দেবার মাধ্যমে যা তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। চুল পড়া বন্ধ করবেন কীভাবে? এবং শারীরিক যন্ত্রণায় থাক��� ইঁদুরের সঙ্গে এই চাপমুক্ত ইঁদুরের অবস্থা তুলনা করতে গিয়ে দেখা যায় তাদের স্টেম সেল ক্ষতিগ্রস্ত হবার পেছনে এক ধরণের প্রোটিন দায়ী। সাইক্লিন-ডিপেন্ডেন্ট কিনাস সিডিকে নামে এই প্রোটিনকে যখন দমন করা হয়, তখন ইঁদুরের লোমের রং বদল থেমে যায়। আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন কিভাবে চুলের রং পরিবর্তন ঠেকানো যাবে, অর্থাৎ ওষুধ তৈরির সময় এই সিডিকে নামে এই প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখেই সেটা করতে হবে। আর একে চুল পাকা ঠেকানোর পথ পেয়ে যাওয়া ভাবছেন না অধ্যাপক সু। তিনি বলছেন, \"এটি মানুষের ওপর পরীক্ষা করা শুরুর প্রক্রিয়া আরম্ভ করবে মাত্র। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশের চুলও কেন পাকে সেটাও বুঝতে পারছি আমরা।\" আরো খবর: অং সান সু চিকে আদালতে নিয়ে গেছেন যে ব্যক্তি", "doc2": "Une femme regarde l'apparition de cheveux gris Lors d'expériences sur des souris, les cellules souches qui contrôlent la couleur de la peau et des cheveux ont été endommagées par un stress intense. Dans une découverte fortuite, des souris à fourrure foncée sont devenues complètement blanches en quelques semaines. Lire aussi : Les chercheurs américains et brésiliens ont déclaré que cette piste méritait d'être explorée plus en profondeur pour mettre au point un médicament qui empêche la perte de la couleur des cheveux due au vieillissement. Les hommes et les femmes peuvent avoir des cheveux gris à tout moment à partir de la trentaine, la période où la couleur des cheveux des parents changent, donnant la plupart des indices sur le moment où ça arrive. Bien que cela soit principalement dû au processus naturel de vieillissement et aux gènes, le stress peut également jouer un rôle. Mais les scientifiques ne savent pas exactement comment le stress affecte les cheveux de notre tête. Médecine : la Guinée à la traîne Lire également : Les chercheurs à l'origine de l'étude, publiée dans Nature, des universités de Sao Paulo et de Harvard, ont estimé que les effets étaient liés aux cellules souches des mélanocytes, qui produisent la mélanine et sont responsables de la couleur des cheveux et de la peau. Et en menant des expériences sur des souris, ils sont tombés sur des preuves que c'était le cas. \"Nous savons maintenant avec certitude que le stress est responsable de ce changement spécifique de la peau et des cheveux, et de son fonctionnement\", déclare le professeur Ya-Cieh Hsu, auteur de recherches à l'université de Harvard. Bangladesh - médecine : 1 dollar pour sauver des enfants 'Les dégâts sont permanents' Chez les souris, la douleur a déclenché la libération d'adrénaline et de cortisol, ce qui a fait battre plus vite leur cœur et augmenter leur pression sanguine, affectant le système nerveux et provoquant un stress aigu. Ce processus a ensuite accéléré l'appauvrissement des cellules souches qui produisent la mélanine dans les follicules pileux. \"Je m'attendais à ce que le stress soit mauvais pour l'organisme\", a déclaré le professeur Hsu. C'est l’un des grands défis de la médecine moderne : trouver de nouveaux antibiotiques. Lire aussi : \"Mais l'impact néfaste du stress que nous avons découvert a dépassé ce que j'avais imaginé\", dit-elle. \"Après seulement quelques jours, toutes les cellules souches qui régénéraient les pigments ont été perdues\", soutient-elle. \"Une fois qu'elles ont disparu, vous ne pouvez plus régénérer le pigment - les dommages sont permanents,\" explique le professeur Hsu. La souris avant l'apparition de la douleur (en haut) et quelque temps après (image du bas) Dans une autre expérience, les chercheurs ont découvert qu'ils pouvaient bloquer les changements en donnant aux souris un antihypertenseur, qui traite l'hypertension artérielle. Et en comparant les gènes de souris souffrant avec ceux d'autres souris, ils ont pu identifier la protéine impliquée dans les dommages causés aux cellules souches par le stress. Lorsque cette protéine - la kinase dépendante de la cycline (CDK) - a été supprimée, le traitement a également empêché un changement de la couleur de leur fourrure. Lire aussi : Les scientifiques peuvent ainsi aider à retarder l'apparition des cheveux gris en ciblant la CDK avec un médicament. \"Ces découvertes ne constituent pas un remède ou un traitement pour les cheveux gris\", a déclaré le professeur Hsu à la BBC. \"Notre découverte, faite sur des souris, n'est que le début d'un long voyage pour trouver une intervention pour les gens\", prévient le chercheur. \"Elle nous donne également une idée de la façon dont le stress peut affecter de nombreuses autres parties du corps\", a-t-elle déclaré. Regarder : À la découverte du «Siinque», un bâton transmis de génération en génération."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47368772", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47388300", "doc1": "এমন কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যা হয়তো অনেকেই শোনেননি, ফলে কখনো গুরুত্বও দেননি, কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হৃদরোগের কিন্তু এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে এমন আরো কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যা হয়তো অনেকেই শোনেননি ফলে কখনো গুরুত্বও দেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে মানুষজনের মৃত্যুর অন্যতম শীর্ষ কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। এই রোগের জন্য দায়ী কিছু লুকিয়ে থাকা কারণ এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে: ১. দাঁতের ফাঁকাগুলো পরিষ্কার না রাখা আমাদের হৃদয় এবং দাঁতের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ আমরা যতটা ভাবি, তার চেয়ে আমাদের হৃদয় এবং দাঁতের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি কম যত্নবান লোকজনের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি রয়েছে। রক্তপাত বা ক্ষত রয়েছে এমন মাড়ি থেকে মুখের ব্যাকটেরিয়া রক্তে প্রবেশ করতে পারে। সেগুলো রক্তনালী বা ধমনিতে চর্বির স্তর তৈরিতে সহায়তা করে। আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় সকালে নাস্তা করাটা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? মানসিক রোগীকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন এগুলো লিভারে গিয়ে উচ্চ মানের প্রোটিন তৈরিতে সহায়তা করতে পারে, যা রক্তের নালীতে স্তর বা বাধা তৈরিতে সহায়তা করে। ফলে এরকম বাধা তৈরি হলে তা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা স্ট্রোক পর্যন্ত গড়াতে পারে। কিন্তু সমাধান? নিয়মিত ভাবে দাঁত পরিষ্কার করা, বিশেষ করে ফ্লস করা এবং নিয়মিতভাবে দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা। ২. বসের প্রতি বিদ্বেষ আপনার বসের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ আপনার হৃদরোগের কারণ হতে পারে এটা আসলে কোন রসিকতা নয়- আপনার বসের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ আপনার হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ১০ বছর ধরে চালানো সুইডিশ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কর্মক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক কর্মীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বা��়িয়ে দেয়। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের দাবি 'নিহত অসংখ্য', পাকিস্তানের নাকচ ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? 'ওরা যে নাটক করছে সেটা না করলেও আমি অবাক হতাম না' বিমান ছিনতাই চেষ্টা নিয়ে কর্তৃপক্ষের যত বক্তব্য ''কর্মক্ষেত্রে বেশ কিছু চাপের কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতে পারে'' বলছেন ভিজয় কুমার, যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ হার্ট ইন্সটিটিউটের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। এর সঙ্গে যদি ঘুমের স্বল্পতা আর খারাপ খাদ্যাভ্যাস যোগ হয়, তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। ৩. দুঃখজনক ঘটনা পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যুর মতো হঠাৎ করে পাওয়া কোন দুঃখজনক ঘটনা সত্যিকার অর্থেই আপনার হৃদয় ভেঙ্গে দিতে পারে পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যুর মতো হঠাৎ করে পাওয়া কোন দুঃখজনক ঘটনা সত্যিকার অর্থেই আপনার হৃদয় ভেঙ্গে দিতে পারে। আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, যে নারীরা তাদের জীবনে কোন বড় শোকাতুর ঘটনার মুখোমুখি হননি,তাদের তুলনায় যারা এরকম তিনটি বা তার বেশি দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের রক্তের নালীগুলো কর্মক্ষমতা অনেক কম। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জ্যাকি ইওবানি বলছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপে কারণে লক্ষণীয় মাত্রায় অ্যাড্রিনাল থেকে নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। যা হৃৎপিণ্ডে কম্পন অনেক বাড়িয়ে তোলে এবং রক্তের চাপ বেড়ে যায়। ৪. একাকীত্ব বোধ করা হৃদরোগের অন্যতম কারণ একাকীত্ব আরেকটি ব্রিটিশ জার্নাল বলছে যে, সামাজিকভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের যেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩২ শতাংশ, সেখানে যারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন, তাদের সম্ভাবনা রয়েছে ২৯ শতাংশ। এর হয়তো একটি কারণ হতে পারে একাকীত্বের কারণে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং একাকী লোকজনকে কেউ আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে না। ২০১৪ সালে প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় আট বছর ধরে সাত লাখ মানুষের ওপর গবেষণা করেছে। তারা দেখতে পেয়েছে যে নারীরা একা থাকেন,তাদের তুলনায় যারা সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ কম। ৫. বিষণ্ণতা যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ৩৩ শতাংশই বিষণ্ণতায় ভুগেছেন আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ৩৩ শতাংশই বিষণ্ণতায় ভুগেছেন। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন যে, মানসিক সমস্যা আছে, এমন রোগীরা তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত জটিলতায় ভোগেন। নিউইয়র্কের জন এইচ টিইচ সেন্টার ফর উইমেন হেলথের চিকিৎসা পরিচালক নিয়েকা গোল্ডবার্গ বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বা মদ্যপান নিয়ন্ত্রিত করার মতো অভ্যাস বিষণ্ণতা মোকাবেলায় ভালো কাজ দিয়েছে। ''খারাপ পরিস্থিতিতে থাকা মানুষজন এমন সব বিষয়ের দ্বারস্থ হয়, যা তাদের খানিকটা স্বস্তি দেয়। তখন তারা ভাবে না এটা স্বাস্থ্যকর নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।'' তিনি ব্যাখ্যা করেন। ৬. রজোবন্ধ (ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) যখন বয়সের কারণে নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, সেসব সময় নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় যখন বয়সের কারণে নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, সেসব সময় নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এর কারণ হয়তো হতে পারে যে, এ সময় তাদের শরীরে প্রাকৃতিক ইস্ট্রজেন হরমোন নিঃসরণ কমে যা এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ধমনির অভ্যন্তরীণ দেয়ালের জন্য ইস্ট্রজেন ইতিবাচকভাবে কাজ করে, যা রক্তনালীগুলোকে নমনীয় করে রাখে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জ্যাকি ইওবানি আরো যোগ করেন যে, বয়সের কারণে রক্তনালীগুলোর নমনীয়তা চলে যায়, যা ধমনির ভেতর চাপ বাড়িয়ে দেয়। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত শরীর চর্চা এসব ঠেকাতে অনেকটাই সহায়তা করতে পারে। স্বাস্থ্য: আপনি কি ডায়াবেটিক রোগী?", "doc2": "Selon l'Organisation mondiale de la santé (OMS), les maladies cardiovasculaires sont la première cause de décès dans le monde. Selon les données de l'Organisation mondiale de la santé (OMS), les maladies cardiovasculaires sont la première cause de décès dans le monde. Voici certains facteurs déclencheurs négligés: 1. Détester votre patron Ce n'est pas une blague. Détester son patron peut nuire à sa santé cardiovasculaire. Une mauvaise relation avec sa hiérarchie au travail augmente les risques de crise cardiaque chez 40% des gens, selon une étude suédoise menée pendant dix ans et publié dans le British Medical Journal. \"Les crises cardiaques peuvent être déclenchées par un stress important au travail \", explique Vijay Kumar, cardiologue au Health Heart Institute, à Orlando (États-Unis). Combiné à d'autres facteurs tels que le manque de sommeil et une mauvaise alimentation, le risque de maladie coronarienne augmente encore plus. Une mauvaise relation avec sa hiérarchie au travail augmente les risques de crise cardiaque chez 40% des gens. Lire aussi : Des policiers camerounais dénoncent leurs conditions de travail Une loi pour réglementer le travail domestique au Maroc 2. Une mauvaise hygiène dentaire Nos dents et notre cœur sont plus liés qu'on ne le pense. Plusieurs études ont démontré que les personnes ayant une mauvaise santé buccodentaire ont des taux plus élevés de problèmes cardiovasculaires. Les saignements ou l'inflammation des gencives permettent aux bactéries de la bouche de pénétrer la circulation sanguine. Là, elles peuvent aider à former des plaques de graisse dans les artères. Les personnes ayant une mauvaise santé buccodentaire ont des taux plus élevés de problèmes cardiovasculaires. Elles peuvent également provoquer la production par le foie de certaines protéines à des niveaux élevés, ce qui enflamme les vaisseaux sanguins. L'inflammation pourrait éventuellement provoquer une crise cardiaque ou à un accident vasculaire cérébral (AVC). La solution ? Utilisez régulièrement du fil dentaire et ne manquez pas vos visites chez le dentiste. Lire aussi : Un Mauritanien invente un appareil dentaire Soins dentaires alternatifs 3. Un événement traumatisant Un traumatisme soudain, comme un décès dans la famille, peut littéralement vous briser le cœur. Selon l'American Menopause Society, les vaisseaux sanguins des femmes qui ont vécu trois événements traumatisants ou plus dans leur vie sont plus fragiles que ceux des femmes qui n'ont pas vécu la même chose. Un décès dans la famille, peut littéralement vous briser le cœur. La cardiologue Jackie Eubany affirme qu'un niveau de stress élevé peut causer une augmentation significative de la production d'adrénaline. Cela accélère le rythme cardiaque et élève la tension artérielle. Lireaussi : Lady Gaga souffre d'un traumatisme Rites funéraires en déclin 4. Se sentir seul Un autre article publié au British Medical Journal démontre que les personnes ayant peu de liens sociaux ont 29% de plus de risques d'avoir une maladie cardiaque et 32% de plus de risques d'avoir une crise cardiaque. L'une des raisons est que la solitude peut être stressante et que les personnes seules n'ont personne pour les aider à réguler leurs émotions. Les personnes isolées ont 32% de plus de risques d'avoir une crise cardiaque. Une étude de l'Université d'Oxford publiée en 2014 a suivi plus de 700 000 femmes sur huit ans. Elle a révélé que les personnes vivant avec un partenaire avaient 28 % moins de chances de mourir d'une cardiomyopathie ischémique que les femmes vivant seules. Lire aussi : Pour vivre longtemps, fuyez la solitude! 5. La dépression Selon l'American Heart Association, 33 % des patients victimes d'une crise cardiaque aux États-Unis auraient pu souffrir de dépression. Les experts pensent que les personnes ayant des problèmes de santé mentale peuvent se sentir trop dépassées pour prendre des décisions saines. La dépression peut aussi avoir un impact sur votre santé physique. Nieca Goldberg, directrice médicale du Joan H. Tisch Centre for Women's Health de New York, affirme que des habitudes comme une alimentation saine ou la limitation de la consommation d'alcool pourraient s'avérer difficiles pour les personnes souffrant de dépression. \"Les gens qui traversent une mauvaise passe recherchent ce qui leur apportera du réconfort. Ils ne se demandent pas s'ils sont en bonne santé ou non \", explique le médecin. Lire aussi : Un régime méditerranéen 'peut aider à prévenir la dépression' Le chant pour braver une dépression post-natale 6. La ménopause Les femmes sont beaucoup plus sujettes aux crises cardiaques dans les années qui suivent la ménopause. La ménopause augmente le risque de crises cardiaques. Ceci pourrait être lié à une réduction de l'œstrogène, une hormone naturelle, dans leur corps. On pense que l'œstrogène a un effet positif sur les parois internes des artères, aidant à garder les vaisseaux sanguins flexibles. La cardiologue Jackie Eubany ajoute que l'âge rend les vaisseaux sanguins plus rigides, ce qui augmente la pression artérielle. Cependant, une bonne alimentation et l'exercice régulier peuvent aider à contrebalancer ces effets. Lire aussi : Bien manger et faire du sport, c'est mieux vivre Des exercices réguliers boostent la santé mentale A regarder : Opération à coeur ouvert réussie sur une petite fille de 6 ans au Mali"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43361889", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43314923", "doc1": "স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ড্যানিয়েলস দাবি করছেন যে ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো যা শুরু হয়েছিলো ২০০৬ সালে যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মিস্টার ট্রাম্প। কিন্তু তাদের মধ্যকার এ গল্পটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? এবং এ সম্পর্কে কি জানা দরকার ? বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভয় কি কাটলো এবার? শাহিরা ইউসুফ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাবধারী মডেল রুশ গুপ্তচর হত্যা চেষ্টা: নার্ভ ��জেন্টের সন্ধান মিলেছে কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস? তার এখনকার পরিচিত পর্ণ তারকা বা প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির অভিনেত্রী হিসেবে, তবে তার প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানায় ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। পর্ণ ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সম্পৃক্ত হন ২০০৪ সালে, সেখানে তার নাম স্টর্মি ড্যানিয়েলস। হুইস্কির নামকরা ব্র্যান্ড জ্যাক ড্যানিয়েলস থেকে একটি অংশ তিনি নিজের নামের সাথে বেছে নিয়েছেন নিজেই। নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন? একবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথাও ভেবেছিলেন এই পর্ণ তারকা। লুজিয়ানায় সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা চিন্তা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে সে চিন্তা থেকে সরে আসেন। আর এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে তার প্রার্থিতাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া হচ্ছেনা। স্টর্মি ড্যানিয়েলস তার অভিযোগ কী? এটা জানার জন্য ফিরে যেতে হবে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। স্টর্মি জানান তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন একটা চ্যারিটি গলফ টুর্নামেন্ট চলার সময়। এটা হচ্ছিলো ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার মাঝে একটা রিসোর্ট এলাকায়। এর আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে মিস্টার ট্রাম্প তাকে ডিনারে নিমন্ত্রণ করেছিলেন এবং তিনি তার হোটেলের রুমে তার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিলো বলে দাবি করেন স্টর্মি। যদিও মিস্টার ট্রাম্পের আইনজীবী এটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ঘটনাটি ঘটেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের জন্মের মাত্র চার মাসের মধ্যে। আর কি কি বলছেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস? স্টর্মির দাবি মিস্টার ট্রাম্প তাকে তার টিভি শোতে নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলছেন মিস্টার ট্রাম্পের সাথে থাকার সময় একটি প্রামাণ্যচিত্রও দেখেছিলেন। দু জনের মধ্যে অনেক বছর ধরেই কথা হচ্ছিলো দাবি করে তিনি আরও জানান ২০১০ সালে যখন তিনি সিনেটে নির্বাচনের পরিকল্পনা বাদ দেন সেই সময়ে দুজনের মধ্যে শেষবার কথা হয়। যদিও এ সম্পর্ক নিয়ে গুজব তৈরি হয় ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। মেলানিয়া ট্রাম্প ও কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাহলে এতদিন পর একটি এখন খবর কেন? গত কয়েকমাস ধরে এ খবরটি হচ্ছে। জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে ��কটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছিলো যেখানে দাবি করা হয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে অর্থাৎ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে মিস ক্লিফোর্ডকে (স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর প্রকৃত নামে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। মিস্টার কোহেন এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও পরে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে তিনি টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে দাবি করেন যে ট্রাম্প বা তার সংশ্লিষ্ট কেউ জানতেননা। জার্নালটির দাবি এ অর্থ দেয়া হয়েছে একটি অপ্রকাশিত চুক্তির আওতায় যেখানে শর্ত ছিলো যে মিস ক্লিফোর্ড মিস্টার ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে কিছু প্রকাশ করবেননা। হোয়াইট হাউজ অবশ্য বলছে এগুলো পুরনো খবর যা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং এগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মিস ক্লিফোর্ডের আইনজীবী টুইট করে জানান তারা এ নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গেছেন। আর বুধবার হোয়াইট হাউজ দাবি করে মামলায় ট্রাম্প জিতেছেন এবং তাতেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কেমন? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর মধ্যকার ঘটনাপ্রবাহ অনেকদূর এগোলেও অনেকটাই চুপ রিপাবলিকান শিবির। তবে সাউথ ক্যারেলাইনার কংগ্রেসম্যান মার্ক স্যানফোর্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন এটি 'গভীর সমস্যা'। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের তরফে অনেকেই মিস ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেয়ার ঘটনাটিকে তদন্ত করার জন্য এফবিআইয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। মাইকেল কোহেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর কি কোন প্রভাব পড়বে? অভিযোগটি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে এবং এটি আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। একদিকে রাশিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে মিস্টার ট্রাম্পের সহযোগীদের অনেকেই তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন বা কেউ নজরদারিতে আছেন। এটাকে আলোচনা থেকে সরাতে হোয়াইট হাউজের দরকার আরেকটি স্ক্যান্ডাল,এমন মতও আসছে? অনেকে মনিকা লিউনস্কির সাথে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যা বলায় অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সে উদাহরণও তুলছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে বিল ক্লিনটনের মত কি কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ?", "doc2": "La star de film X qui se se nomme Stephanie Clifford dans la vie civile aurait eu une relation intime avec Donald Trump. La star de film X qui se se nomme Stephanie Clifford dans la vie civile aurait eu une relation intime avec Donald Trump. Elle affirme dans sa plainte que l'accord de non divulgation est invalide parce que le président lui-même ne l'a pas paraphé. Cette clause a été signée par Stephanie Clifford et l'avocat de M.Trump, Michael Cohen, le 28 octobre 2016, quelques jours avant l'élection présidentielle qui a porté Donald Trump à la Maison Blanche. Un virement de 130.000 dollars a été fait au bénéfice de Stormy Daniels, qui était citée sous le nom de Peggy Peterson dans l'accord. Tout commence le 12 janvier quand le Wall Street Journal affirme que l'ancienne actrice pornographique a été payée pour taire une relation sexuelle qu'elle aurait eu avec Donald Trump en 2006. C'était en marge d'un tournoi de golf à Lake Tahoe, un an après son mariage avec sa femme Melania, et quelques mois après la naissance de son fils Barron. Cette liaison se serait poursuivie au cours de l'année 2007, précise la plainte."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47769270", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/39179084", "doc1": "বাইসাইকেলটিতে বায়ু পরিশোধনকারী যন্ত্র বসানো রয়েছে। দূষিত বায়ু মানব দেহের জন্য ব্যাপক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধরুন আপনি বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বাইসাইকেলে এমন একটি যন্ত্র লাগানো রয়েছে যার ফলে দূষণ মুক্ত বাতাস এসে পড়ছে আপনার মুখে। এমনই এক ধরনের যন্ত্রযুক্ত বাইসাইকেল আবিষ্কার করেছে ভিয়েতনামের একদল শিক্ষার্থী। এই সাইকেল বায়ু পরিশোধন করতে পারে। বিবিসি মনিটরিং এর প্রতিবেদনে তাদের গল্প উঠে এসেছে। যেভাবে তৈরি হল এই বাইসাইকেল ভিয়েতনামের দা লাত শহরে মেধাবীদের জন্য বিশেষ একটি স্কুলের নাম থাং লং গিফটেড হাই স্কুল। আরো পড়ুন: বায়ু দূষণ যেভাবে আপনার বুদ্ধি কমাতে পারে বায়ু দূষণ কি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় সেই স্কুলের শিক্ষার্থী তিন বন্ধু ছয়মাস ধরে পরীক্ষা চালিয়ে বিশেষ একটি বায়ু পরিশোধনকারী যন্ত্র বসানো বাইসাইকেল তৈরি করেছে। যন্ত্রটি বাইসাইকেলের হাতলে বসানো থাকে। পরিশোধনকারী যন্ত্রটিতে রয়েছে তিন পরতের তুলা আর কার্বন শুষে নেয় এমন এক ধরনের কাপড় যার নাম অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফ্যাব্রিক। বিশ্বব্যাপী শহরগুলোতে বায়ু দূষণ খুব বড় একটি সমস্যা। এই দুটি বস্তুর কাজ হল ধুলো আটকানো। এই যন্ত্রটিতে একটি ব্যাটারিও রয়েছে। কীভাবে কাজ করে এটি? বাইসাইকেলের সামনের চাকার দুইপাশে ছোট কয়েকটি পাখা বসানো থাকে। যার সাথে সংযোগ রয়েছে ফিল্টার বা বায়ু পরিশোধনকারী যন্ত্রটির। সাইকেলটি যখন চলতে থাকে তখন চালকের মুখে পরিশোধন করা বায়ু ছুড়ে দেয় এগুলো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যন্ত্রটির ধুলো আটকানোর ক্ষমতা ৮৬ শতাংশ। আর নাইট্রোজেন অক্সাইড কমানোর হার ৬৩ শতাংশ। তবে এটিই প্রথম এমন বাইসাইকেল নয়। ডাচ একজন গবেষকও একই ধরনের বাইসাইকেলের নকশা নিয়ে কাজ করছেন। তার নকশা অবশ্য চালকের মুখে নয়, চালকের আশপাশে পরিশোধিত বায়ু ছুড়ে দেয়। অন্যান্য খবর: 'নিঃশ্বাস নিতে না পেরেই মানুষগুলো ঝাঁপ দিয়েছিল' আপনার বহুতল ভবন কি আগুনের হাত থেকে নিরাপদ সরকারের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে ফেসবুকের যত সুপারিশ", "doc2": "Plus de 4 millions de personnes meurent de la pollution liée à la cuisson au charbon. Aujourd'hui, la BBC lance sa saison #soicanbreathe qui montre ce qui peut être fait pour lutter contre la pollution de l'air. Selon l'Organisation mondiale de la santé, plus de 4 millions de personnes meurent prématurément d'une maladie liée à la pollution atmosphérique des ménages par la cuisson à l'aide de combustibles solides. Au Ghana, une ONG locale essaie de changer leur utilisation par l'introduction de cuisinières améliorées qui consomment une petite quantité de charbon de bois. Des femmes enveloppées dans un épais nuage de fumée Une innovation environnementale La famille Abayatey, vivant dans un village situé à quelques heures à l'extérieur d'Accra, prépare du \"kenkey\", un repas local, à l'aide de feu de bois. Le nuage de fumée et la chaleur sont insupportables et représentent une menace majeure pour la santé. L'utilisation de combustibles solides comme le bois est très répandue dans cette partie du pays. Mais certains cherchent à éradiquer ce danger. C'est le cas des \"Ghana Girl Guides\" qui ont commencé à enregistrer des résultats impressionnants. L'Organisation mondiale de la santé estime qu'environ 3 milliards de personnes font cuire leurs aliments et chauffer leurs maisons en utilisant du bois ou du charbon de bois. Ce qui produit des niveaux élevés de pollution atmosphérique des ménages exposant les femmes et les enfants qui les utilisent à de graves risques pour la santé. Irene Ashangmor, 15 ans, a présenté à sa famille la cuisinière efficace. Elle dit que cela a fait une grande différence. L'ancienne méthode de cuisson qui pollue beaucoup les ménages La résistance des conservateurs Mais tout le monde n'est pas convaincu de cette nouvelle expérience dans cette communauté. Martha Abayatey, enveloppée dans un épais nuage de fumée, prépare un repas à l'aide d'un feu de bois. Elle pense que la méthode traditionnelle de cuisson reste la meilleure option. Zakia Abdul-Wahab de l'Association des Guides du Ghana dit qu'elles espèrent étendre la campagne de cuisine propre à tout le pays. Les nouvelles cuisinières améliorées conçues pour diminuer la pollution atmosphérique au Ghana Le groupe demande au gouvernement du Ghana de fournir des fonds pour réduire les coûts des poêles. Avec plusieurs millions de morts chaque année en raison de la pollution par le charbon des feux de cuisson, elles espèrent que le changement va s'opérer un jour. En attendant, des millions de feux de bois sont allumés à travers le Ghana chaque jour. Les familles ne savent pas encore qu'il y a un tueur silencieux qui se cache dans leurs maisons."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52578683", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52515046", "doc1": "নতুন পরিসংখান বলছে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ এরপরেই আছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদেরও মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যরকম বেশি। পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক বৈষম্য এর জন্য সম্ভবত দায়ী। বয়স, কোন্ এলাকায় কীভাবে তারা থাকে, সুযোগের অভাব এবং আগে থেকে থাকা স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা এসব আমলে নিয়েই তারা তাদের রিপোর্টটি তৈরি করেছে। তবে বিবিসির পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান রবার্ট কুফি বলছেন এতে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা হয়নি কেন তাদের ঝুঁকির মাত্রা এত বেশি। তাদের বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থার কথা এখানে আমলে নেয়া হয়নি। তারা ছোট জায়গায় অনেকে ঠাসাঠাসি করে থাকে সেটা কারণ কি না, অথবা তাদের কাজের ধরন এমন কি না যেখানে ম���নুষের সংস্পর্শে তাদের আসতে হয় বেশি, এসব বিষয়ে আরও বেশি তথ্যানুসন্ধান করা দরকার। পরিসংখ্যান দপ্তর অবশ্য বলছে তারা দেখেছে এইসব সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির লোক এমন পেশায় কাজ করেন যেখানে মানুষের সংস্পর্শে তাদের বেশি আসতে হয়, ফলে কাজ থেকে তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলেই তারা মনে করছে। তবে তাদের পেশা ও ঝুঁকির সঙ্গে তার যোগসূত্র নিয়ে তাদের আরও গবেষণার পরিকল্পনা রয়েছে। হেলথ ফাউন্ডেশন নামে একটি গবেষণা সংস্থা বলছে লন্ডনে মোট কর্মী জনগোষ্ঠির ৩৪% কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়। লন্ডনে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়রা খাদ্যশিল্পে কাজ করে ৫৪%, স্বাস্থ্য ও কেয়ার খাতে ৪৮% এবং পরিবহনে ৪৪%। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস যেভাবে কেড়ে নিল এক বাংলাদেশির প্রাণ মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা এক বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা ময়লা ফেলার ব্যাগ মাথায় দিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে ব্রিটেনের ডাক্তারদের 'আমিই ভেন্টিলেটার বন্ধ করছি আর রোগীর শেষ মুহূর্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছি’ ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কাজ করেন যারা তাদের একটা গরিষ্ঠ সংখ্যক সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মানুষ ব্রিটেনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়ে যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগই লন্ডনের বাসিন্দা। আর লন্ডনের জনসংখ্যার ৪০% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) এবং গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অফ ফিসকাল স্টাডিস (আইএফএস) দুটি প্রতিষ্ঠানই তাদের আলাদা আলাদা গবেষণায় দেখেছে এই ভাইরাসের প্রকোপ আনুপাতিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি পড়েছে সংখ্যালঘু বংশোদ্ভুতদের ওপরে। তবে আইএফএস গবেষকরা বলছেন এখানে ভৌগলিক অবস্থানের উল্টোদিকে রয়েছে বয়সের বিষয়টা। সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মানুষদের বেশিরভাগেরই বয়স শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের থেকে কম। আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বয়সের বিবেচনায় তাদের তুলনামূলকভাবে কম। তাদের মতে এই দুটি ফ্যাক্টরকে বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সার্বিকভাবে বেশি, কারণ মোট জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষ শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যেই বেশি। এবংআক্রান্তের একটা বড় অংশ বৃদ্ধ জনগোষ্ঠি। ওএনএস অবশ্য তাদের গবেষণায় অন্য কিছু বিষয় নিয়ে এসেছে, যেমনটা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন স্বাস্থ্য, পেশা ও সুযোগ সুবিধার অভাবের বিষয়গুলো। আর এগুলো আমলে নিয়েই তাদের উপসংহার হল: ফয়সাল রিয়াজ ব্রিটেনের কভেন্ট্রিতে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন বিশ বছর। তার মত বহু এশিয় কাজ করেন পরিবহন পেশায়। পাঁচই মে পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয় এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মানুষ মারা গেছে অন্তত ৩,৩৭৮। অর্থাৎ যাদের জাতিগত পরিচয় ২০১১-র আদম সুমারিতে নথিভুক্ত করা হয়েছিল, সেই তথ্য আমলে নিয়ে দেখা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি এক লাখের হিসাবে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। আর কৃষ্ণাঙ্গদের পরেই আছে এশিয়ানরা, যাদের মধ্যে সবার উপরে আছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। ইংল্যান্ড, ওয়েলস আর উত্তর আর্য়াল্যান্ডে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা রোগীদের ওপর এক জরিপে আরও দেখা গেছে কোভিড নাইনটিন আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা আশংকাজনক তাদের এক তৃতীয়াংশই এই জনগোষ্ঠির মানুষ। প্রায় ৭ হাজার রোগীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে। দুটি গবেষণা সংস্থাই বলেছে স্বাস্থ্য, পেশা ও জীবনযাপনের মানের সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকির সম্পর্ক থাকতে পারে বলেই তাদের বিশ্বাস। সাম্প্রতিক জরিপে যদিও এই জনগোষ্ঠির বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলাদাভাবে সমীক্ষা চালানো হয়নি, কিন্তু এই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। আর কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ানদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা খুবই বেশি। এই সব স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার ঝুঁকির একটা যোগাযোগের কথা প্রায় প্রথমদিক থেকেই বলা হচ্ছে। এছাড়াও সাধারণভাবে অর্থাভাব ও সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠির ওপর এই করোনাভাইরাসের ধাক্কা বেশি মাত্রায় দেখা গেছে। এমনকী আক্রান্ত শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মধ্যেও বেশিরভাগই মারা গেছে দরিদ্র মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় এক তৃতীয়াংশ বাংলাদেশি পরিবারে অনেক সদস্য একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন। কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের মধ্যে এই হার ১৫%। সেখানে শ্বেতাঙ্গ পরিবারগুলোতে এই হার মাত্র ২%। ওএনএস বলছে এর ফলে তাদের পক্ষে আইসোলেশনে থাকার ব্যাপারটা সবক্ষেত্রে ফলদায়ক হচ্ছে না। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে ��াংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি?", "doc2": "L'Institut d'études fiscales (IFS) a déclaré qu'une proportion plus élevée de personnes issues de minorités ethniques vivent dans des régions plus durement touchées par le Covid-19. Cependant, elles ont tendance à être plus jeunes en moyenne, et devraient donc être moins vulnérables. Mais le rapport a constaté que divers groupes ethniques noirs, asiatiques entre autres connaissaient un taux de mortalité plus élevé par habitant. 'Les fausses informations m’ont tuée' Et après avoir pris en compte les différences d'âge, de sexe et de géographie, l'étude a estimé que le taux de mortalité des personnes d'origine noire africaine était 3,5 fois plus élevé que celui des Britanniques blancs. Elle ajoute que pour les antillais d'origine, le taux de mortalité par habitant est 1,7 fois plus élevé, et qu'il est 2,7 fois plus élevé pour les personnes d'origine pakistanaise. Selon l'étude de l'IFS, compte tenu des profils démographiques et géographiques, la plupart des groupes ethniques minoritaires meurent en nombre \"excessif\" dans les hôpitaux. Une étude gouvernementale sur la question est actuellement en cours, dirigée par le professeur Kevin Fenton, directeur régional pour Londres de Public Health England. Ross Warwick, un économiste et chercheurr à l'IFS, a déclaré qu'il n'y avait \"pas d'explication unique et que différents facteurs peuvent entrer en compte pour différents groupes\". \"Les Africains noirs sont particulièrement susceptibles d'être employés à des postes clés qui pourraient les mettre en danger\", a-t-il déclaré, \"alors que les Bangladais plus âgés semblent vulnérables sur la base des problèmes de santé sous-jacents\". Deux tiers des hommes bangladeshis de plus de 60 ans ont un problème de santé qui les exposerait à long terme à un risque d'infection. Les excréments et l'urine des vaches ne sont pas un remède contre le COVID-19 Plus de 20 % des femmes noires africaines sont employées dans le secteur de la santé et de l'aide sociale, tandis que les hommes pakistanais ont 90 % de chances de plus de travailler dans le secteur de la santé que leurs homologues britanniques blancs. De même, alors que les Indiens ne représentent que 3 % de la population active en Angleterre et au Pays de Galles, ils représentent 14 % des médecins, selon l'étude. Le professeur Tim Cook, professeur honoraire en anesthésie à l'Université de Bristol, a déclaré que le nombre élevé de travailleurs de la santé issus de minorités ethniques qui meurent de la maladie de Covid-19 était \"frappant\". Les médecins et les soignants issus de minorités ethniques ont été identifiés par le NHS England comme étant potentiellement plus exposés au coronavirus Une analyse de la BBC News portant sur 135 travailleurs de la santé dont le décès a été annoncé publiquement a révélé que 84 d'entre eux étaient issus de minorités ethniques. Parmi ceux-ci, 29 seraient issus de communautés noires, 26 de milieux sud-asiatiques, 23 de milieux est-asiatiques, dont 17 Philippins, et quatre de milieux arabes. Dans une lettre envoyée cette semaine aux hôpitaux locaux et aux médecins généralistes, le responsable du système sanitaire anglais (NHS) a conseillé au personnel issu de communautés noires, asiatiques et de minorités ethniques de faire l'objet d'une \"évaluation des risques\" par mesure de précaution, sur la base des données de plus en plus nombreuses. Une Nigériane de 68 ans donne naissance à des jumeaux 10 chansons pour vous motiver pendant le confinement Coronavirus : comment scolariser mes enfants à la maison? Vulnérabilité économique Le professeur Lucinda Platt, de la London School of Economics, a déclaré qu'il y avait également des différences notables dans la vulnérabilité économique entre les groupes ethniques en raison du confinement. \"Les hommes bangladais courent quatre fois plus le risques que les hommes blancs britanniques d'avoir un emploi dans les industries fermées à cause de la crise, et les hommes pakistanais près de trois fois plus de risques\", a-t-elle déclaré. Cela est dû en partie à leur forte concentration dans le secteur de la restauration et des taxis, a-t-elle suggéré. \"L'épargne des ménages est inférieure à la moyenne chez les Africains noirs, les Caribéens noirs et les Bangladais\", a-t-elle ajouté. \"En revanche, les Indiens et les autres résidents blancs, en grande partie nés à l'étranger, ne semblent pas être confrontés à des risques économiques disproportionnés\". Madagascar a-t-il découvert un traitement à base de plantes contre le coronavirus?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44866299", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-43022911", "doc1": "১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৯৭ সালের ২৫শে মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকেসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল। সেটাই ছিল বাংলাদেশে তার প্রথম এবং শেষ সফর। ঢাকায় হোটেল শেরাটনে নেলসন ম্যান্ডেলাকে গান শুনিয়েছিলেন ফকির আলমগীর ফিলিস্তিন আর তুরস্কের দুই নেতার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশে আসেন ১৯৯৭ সালের ২৫শে মার্চ সকালে। তিনদিনের সেই সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি ছিলেন ঢাকায় তখনকার হোটেল শেরাটনে, যা এখন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল নাম নিয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির তখন ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। মি. ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁর হোটেল কক্ষে দেখা করতে গিয়েছিলেন মি. জমির। তিনি বলছেন, নেলসন ম্যান্ডেলা জানতেন যে, আমি আসছি। তাঁর কক্ষে প্রবেশের পর তিনি উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেন। এর আগে বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার মুক্তির পক্ষে আমি অনেক কথা বলেছিলাম। সেগুলো স্মরণ করে তিনি আমাকে একজন বন্ধু বলে সম্বোধন করেন। তিনি আমাকে তার একটি ছবি উপহার দেন, যেখানে লেখা ছিল, 'মোহাম্মদ জমির, বেস্ট উইশেস টু আ ডিপেন্ডেবল ফ্রেন্ড।' হোটেল কক্ষে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ জমিরের সঙ্গে নেলসন ম্যান্ডেলার কথা হয়। হোটেল শেরাটনে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের কাছে বাংলাদেশের আমের খোঁজ নিয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা মি. জমির বলছেন, আলাপে তিনি অনেক গুরুত্ব দিলেন। তার একটি হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন। তিনি বললেন, দরিদ্র যারা আছে, তারা শুধু আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ভুগছে না, তাদের শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে হবে। আরো বললেন, যারা নিপীড়িত, তাদের সহযোগিতা দিতে হবে, যাতে তারা ঘুরে দাড়াতে পারে। রাষ্ট্রদূত হিসাবে কিভাবে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করা যায়, তা নিয়েও মোহাম্মদ জমিরকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ১৯৭১ সালের পরবর্তী ঘট���াপ্রবাহ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম নিয়ে কিছু করা হচ্ছে কিনা, সেসব জানতে চেয়েছিলেন মি. ম্যান্ডেলা। ২৬শে মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন ও স্বাধীনতার স্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মি. ম্যান্ডেলা। তার আগে অপর দুই নেতার সঙ্গে সাভারে স্মৃতিসৌধে পুষ্প অপর্ণ করেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া বক্তব্যে তিনি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান মানুষের সংগ্রামের বর্ণনা তুলে ধরে বাংলাদেশ ও তাদের রাজনৈতিক, বাণিজ্য আর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। নেলসন ম্যান্ডেলাকে সামনাসামনি দেখতে পাওয়া বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন ফকির আলমগীর হাজার হাজার মানুষের সেই সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ''স্বাধীনতা আর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের অনেক মিল রয়েছে। আজ আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, বাংলাদেশের মানুষকেও একসময় এরকম সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে। একটি দূরের দেশ হওয়ার সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের মুক্তি সংগ্রামে আপনারা যে সমর্থন দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের প্রতি আমি তাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।'' নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে গান গেয়েছিলেন বাংলাদেশের গায়ক ফকির আলমগীর। গানটি লিখেছিলেন সেজান মাহমুদ। ফকির আলমগীর বলেন, সেই গানের কথা জানতে পেরে তার সঙ্গে নিজে থেকেই দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মি. ম্যান্ডেলা। সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করে সেই গান শুনিয়েছিলেন মি.আলমগীর। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ২৭ বছর কারাবাস করেছেন নেলসন ম্যান্ডেলা ফকির আলমগীর বলছেন, ''তখনকার প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আমাকে টেলিফোন করে হোটেল শেরাটনে আসতে বলেন। আমার স্ত্রীকেও নিয়ে আসতে বলেছিলেন। কারণ বঙ্গভবনে যাওয়ার আগে (প্রেসিডেন্টের নিমন্ত্রণে) নিজের হোটেল কক্ষে নেলসন ম্যান্ডেলা আমার সঙ্গে দেখা করবে।'' ''তখন দ্রুত ছুটে গেলাম শেরাটনে। অনেকেই দেখা করবে বলে লবিতে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমাকে সরাসরি তার রুমে নিয়ে যাওয়া হল। তিনি তখন বঙ্গভবনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তিনি আমাকে নিয়ে নিচে নেমে এলেন। এবং নেমেই তিনি আমাকে বললেন, গানটা গাও। আমি যখন গানটা ধরেছি, তিনি আমার সঙ্গে আফ্রিকান ধরণে নাচতে শুরু করলেন, সে��া এখনো আমার চোখে লেগে আছে।'' এসব গানের কথা আগেই তাকে জানানো হয়েছিল বলে ফকির আলমগীর জানান। এরপর তার গাড়ি বহরের সঙ্গেই বঙ্গভবনে যান ফকির আলমগীর। সেখানে ঢুকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অতিথি কক্ষে যাওয়ার আগে তার দিকে হাত নেড়ে বিদায় জানান নেলসন ম্যান্ডেলা। যদিও খাবারের ক্ষেত্রে পরিমিত ছিলেন মি. ম্যান্ডেলা। তবে কূটনৈতিক কর্মকর্তা মোহাম্মেদ জমিরের সঙ্গে অনেক আলাপের মধ্যে আমের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। ''আলাপচারিতার মধ্যে আমাকে একটি প্রশ্ন করলেন যে, আমি শুনেছি আপনি আমের কথা বলেছিলেন এক জায়গায়। তো কই, আম কই? আমি বললাম, এখন তো মার্চ মাস, এখন আম হবে না। আপনি যদি মে মাসে কি জুন মাসে আসেন, তাহলে আম খাওয়াতে পারি। তখন উনি খুব হাসলেন। আবার বললেন, তাহলে এ মাসে আর আম পাওয়া যাবে না?'' নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোকপালন করা হয় ২৭শে মার্চ মি. ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আবার ফিরে যান। এরপরে আর তার বাংলাদেশে আসা হয়নি। নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তার মৃত্যুতে বাংলাদেশেও তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছিল, যাকে সবসময়েই বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু বলে সম্বোধন করা হয়েছে।", "doc2": "Nelson Mandela, le premier président noir de la république d'Afrique du Sud. Le chef du parti, Cyril Ramaphosa, va prononcer un discours au Freedom Square au Cap, où M. Mandela avait prononcé son premier discours public après sa libération de prison, il y a vingt-huit ans. Lire aussi : Cette célébration survient à une période où l'actuel président de la République, Jacob Zuma, fait face à des appels à démissionner, à la suite d'allégations de corruption. L'ANC a annoncé qu'une réunion spéciale de son comité exécutif national, qui a le pouvoir de démettre le président Zuma de ses fonctions, sera tenue lundi."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56220480", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56222096", "doc1": "সৌদি আরবের বর্তমান শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বাইডেনের প্রশাসন এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে যে, তুরস্কের ইস্তানবুলে গিয়ে খাসোগজিকে \"ধরতে বা খুন\" করতে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, যুবরাজ মোহাম্মদ ওই পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকজন সৌদি নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও খোদ যুবরাজের ওপর এমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সৌদি আরব এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে এটি \"নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য\"। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ, যিনি কা���্যত দেশটির শাসক, তিনিও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। খাসোগজি যখন তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তখনই তাকে হত্যা করে তার দেহ খণ্ড বিখণ্ড করা হয়। ৫৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিক একসময় সৌদি সরকারের উপদেষ্টা এবং রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে এক পর্যায়ে তিনি সব আনুকূল্য হারান এবং ২০১৭ সালে নিজেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে একটি মাসিক কলাম লিখতেন, যেখানে তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের নীতির সমালোচনা করেন। আরও পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কারা এই ১৫ জন? খাসোগজি হত্যা: 'বলির পাঁঠা' জেনারেল আসিরি? খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই জামাল খাসোগজি, সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক প্রতিবেদনে কী লেখা আছে? যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, \"আমরা ধারণা করছি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইস্তানবুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে গ্রেফতার বা হত্যার জন্য একটি অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন,\" ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ হলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের ছেলে এবং দেশটির বর্তমান শাসক। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটিতে এমন ধারণার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়, যা এটা পরিষ্কার করে যে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদই ওই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনে খাসোগজির হত্যার সাথে জড়িত বা দায়ী ব্যক্তিদের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে এতে বলা হয়েছে, \"খাসোগজির ক্ষতি করার পরিকল্পনায় আর কারা কারা সামিল ছিল সেটা এখনও আমরা পুরোপুরি জানি না। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই হত্যার পেছনে, একদল এজেন্টকে দোষারোপ করছে, যারা বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল। এছাড়া সৌদি আদালত প্রাথমিকভাবে পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে বিচারক সেই সাজা কমিয়ে প্রত্যেককে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০১৯ সালে, জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের অভিযোগ, সৌদি আরব ইচ্ছাকৃতভাবে এবং আগে থেকে পরিকল্পনা করেই খাসোগজিকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় সৌদি আরবের আদালত যে রায় দিয়েছে তা \"ন্যায়বিচারের পরিপন্থী\" উল্লেখ করে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। জো বাইডেন স���ংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার প্রতিবেদন পড়ে বাদশাহ সালমানের সাথে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে, এই ঘটনা কী বার্তা দেয়? এই প্রতিবেদন প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কয়েকজন সৌদি নাগরিকের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। যাকে \"খাসোগজি ব্যান\" বলা হয়। মি. ব্লিংকেন বলেন, \"যাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা নিজ দেশের বাইরেও ভিন্নমত দমনে ভয়াবহ সব কার্যকলাপের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।\" \"যেসব অপরাধী কোন বিদেশি সরকারের হয়ে ভিন্নমতের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানায়, তাদেরকে আমেরিকান মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না,\" তিনি সতর্ক করেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগও ক্রাউন প্রিন্সের আশেপাশের কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরমধ্যে রয়েছে: তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সাবেক উপ গোয়েন্দা প্রধান আহমাদ আসিরি, সেইসঙ্গে তার ব্যক্তিগত সুরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী, যারা হত্যার সাথে জড়িত ছিল অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ধারণা করেছিল যে ক্রাউন প্রিন্সই এই হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তিনি যে জড়িত ছিলেন সে অভিযোগ মার্কিন কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলেননি। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারী দেশ সৌদি আরব মধ্য প্রাচ্যে আমেরিকার প্রধান মিত্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে দৃঢ় অবস্থান নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাদশাহ সালমানের সাথে ফোনালাপ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। \"যুক্তরাষ্ট্র যে সার্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে\", বাইডেন সেই বিষয়টি ফোনালাপে নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, সৌদি আরবের সাথে অস্ত্র চুক্তি বাতিল করার বিষয়েও বাইডেন প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে। কারণ এই চুক্তি মানবাধিকারকে উদ্বেগের মুখে ফেলেছে। ভবিষ্যতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয় শুধুমাত্র \"প্রতিরক্ষামূলক\" অস্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরা���্ট্রের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে যে, এই অপরাধের পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করতে যথাযথভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের করা হয়েছে। \"এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এই প্রতিবেদনটি যেসব তথ্য দিয়েছে সব অযৌক্তিক ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। \"এবং এই ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশ করা হল যখন সৌদি আরব এই জঘন্য অপরাধের স্পষ্ট নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে।\" সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির নেতৃত্ব, সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে এমন সব পদক্ষেপও তারা প্রত্যাখ্যান করছে। বারবারা প্লেট উশার। বিশ্লেষণ, বারবারা প্লেট উশার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদদাতা এ ঘটনায় মোহাম্মদ বিন সালমান সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়লেও তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে পার পেয়ে গেছেন। যদিও তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টার অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ বহু অ্যাকটিভিস্ট আহ্বান জানিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন খুব সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সৌদি আরবকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করতে চান তেমনি আবার সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান। কারণ মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে সৌদি আরব বেশ বড় ভূমিকায় আছে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: ইয়েমেনের যুদ্ধ শেষ করা, ইরানকে পুনরায় পরমাণু চুক্তিতে যুক্ত করা, ইসলামপন্থী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আরব-ইসরায়েলি সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া। তবে প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো যুবরাজ মোহাম্মদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন না। এর পরিবর্তে মি. বাইডেন তার বাবা বাদশাহ সালমানের সাথে কাজ করছেন। জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত সন্দেহভাজন। খাসোগজিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল? খাসোগজি তার তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে যান। ক্রাউন প্রিন্সের ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে তিনি এই আশ্বাস পান যে, কনস্যুলেটে যাওয়াটা তার জন্য নিরাপদ হবে। সে সময় প্রিন্স খালিদ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। যদিও প্রিন্স খালিদ ওই সাংবাদিকের সাথে তার যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সৌদি আইনপ্রণেতাদের মতে, খাসোগজি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তার সঙ্গে খুনিদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা জোর করে খাসোগজির শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রচুর ওষুধ দেয়। অতিরিক্ত মাত্রার ওষুধের ফলে খাসোগজি সেখানেই মারা যান। এরপর তার দেহটি খণ্ড বিখণ্ড করা হয় এবং ওই টুকরোগুলো কনস্যুলেটের বাইরে থাকা স্থানীয় একটি সহযোগীর কাছে দেয়া হয়, আইনপ্রণেতারা বলেছেন। খাসোগজির দেহাবশেষ কখনও পাওয়া যায় নি। তুরস্কের গোয়েন্দা বিভাগ হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ডিংটি সামনে আনার পর সেটার লিখিত প্রতিবেদনে বিশদ বিবরণ প্রকাশ পায়।", "doc2": "Le prince héritier est effectivement considéré comme le souverain de l'Arabie Saoudite Le rapport publié par l'administration Biden indique que le prince a approuvé un plan pour \"capturer ou tuer\" Khashoggi. Les Etats-Unis ont annoncé des sanctions contre des dizaines de Saoudiens, mais pas contre le prince lui-même. L'Arabie Saoudite a rejeté le rapport, le qualifiant de \"négatif, faux et inacceptable\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Le prince héritier Mohammed, qui est en fait le souverain du royaume, a nié tout rôle dans le meurtre. Khashoggi a été tué lors d'une visite au consulat saoudien à Istanbul, en Turquie, et son corps a été découpé. Le journaliste de 59 ans avait été conseiller du gouvernement saoudien et proche de la famille royale, mais il a perdu la faveur et s'est exilé aux États-Unis en 2017. De là, il a écrit une chronique mensuelle dans le Washington Post dans laquelle il critiquait la politique du prince Mohammed. Quelles sont les conclusions du rapport ? \"Nous estimons que le prince héritier d'Arabie Saoudite, Muhammad bin Salman, a approuvé une opération à Istanbul pour capturer ou tuer le journaliste saoudien Jamal Khashoggi\", indique le rapport du bureau du directeur du renseignement national américain. Le prince héritier est le fils du roi saoudien Salman bin Abdulaziz al-Saud et est considéré comme le souverain effectif du royaume. Le rapport des services de renseignement énumère trois raisons de croire que le prince héritier doit avoir approuvé l'opération : Le rapport poursuit en citant des personnes qui seraient complices ou responsables de la mort de M. Khashoggi. Mais il dit que \"nous ne savons pas combien de temps à l'avance\" les personnes impliquées ont prévu de lui faire du mal. Les autorités saoudiennes ont imputé le meurtre à une \"opération de voyous\" menée par une équipe d'agents envoyés pour ramener le journaliste dans le royaume. Un tribunal saoudien a jugé et condamné cinq personnes à 20 ans de prison en septembre dernier, après les avoir initialement condamnées à mort. En 2019, le rapporteur spécial de l'ONU, Agnès Callamard, a accusé l'État saoudien de l'\"exécution délibérée et préméditée\" de Khashoggi et a rejeté le procès saoudien comme une \"antithèse de la justice\". Quelle signification pour les relations américano-saoudiennes ? Peu après la publication du rapport, le secrétaire d'État américain Antony Blinken a annoncé les restrictions de voyage, surnommées \"Khashoggi Ban\". Les personnes visées sont \"soupçonnées d'avoir participé directement à des activités contre-dissidentes graves et extraterritoriales\", dit-il. \"Les auteurs qui ciblent des dissidents présumés au nom d'un gouvernement étranger ne devraient pas être autorisés à se rendre sur le sol américain\", avertit-il. Dr Oumar Ba, enseignant au Centre d' Etudes Diplomatique et Stratégique de Paris est notre En outre, le département du Trésor a sanctionné certains proches du prince héritier : un de ses proches collaborateurs, l'ancien chef adjoint des services de renseignement Ahmad Asiri, ainsi que sa force de protection personnelle, qui était impliquée dans le meurtre. Dès 2018, la CIA aurait cru que le prince héritier avait ordonné le meurtre, mais l'allégation selon laquelle il était impliqué n'a jamais été rendue publique par les responsables américains jusqu'à présent. L'Arabie Saoudite, le plus grand exportateur de pétrole au monde, est un allié clé des États-Unis au Moyen-Orient. Le président américain Joe Biden devrait adopter une ligne plus ferme que son prédécesseur Donald Trump sur les droits de l'homme et l'État de droit en Arabie saoudite. Joe Biden s'est entretenu avec le roi Salman après avoir lu un rapport à paraître sur le meurtre du journaliste Jamal Khashoggi Lors d'un appel téléphonique jeudi avec le roi Salman, le président \"a affirmé l'importance que les États-Unis accordent aux droits de l'homme universels et à l'État de droit\", a indiqué la Maison Blanche. Selon des sources citées par l'agence de presse Reuters, l'administration Biden envisage également l'annulation des contrats d'armement avec l'Arabie Saoudite qui posent des problèmes de droits de l'homme ainsi que la limitation des futures ventes militaires à des armes \"défensives\". Rejetant le rapport américain, le ministère saoudien des affaires étrangères a insisté sur le fait que les responsables du crime avaient fait l'objet d'une enquête en bonne et due forme et que justice avait été rendue. \"Il est vraiment regrettable que ce rapport, avec ses conclusions injustifiées et inexactes, soit publié alors que le Royaume avait clairement dénoncé ce crime odieux, et que les dirigeants du Royaume ont pris les mesures nécessaires pour garantir qu'une telle tragédie ne se reproduise jamais\", a-t-il ajouté. Il a en outre rejeté \"toute mesure qui porte atteinte à ses dirigeants, à sa souveraineté et à l'indépendance de son système judiciaire\". Analyse Par Barbara Plett-Usher Correspondante au département d'État Le fait de blâmer publiquement Mohammed bin Salman est une réprimande extraordinaire, mais jusqu'à présent, il a échappé à toute sanction malgré les appels des activistes, des démocrates au congrès et du rapporteur spécial des Nations unies, Agnès Callamard. Ces mesures soigneusement calibrées reflètent la ligne de conduite du président Biden : il veut tenir sa promesse de demander des comptes à l'Arabie saoudite pour les violations des droits de l'homme, mais il veut aussi préserver ses liens avec le royaume parce qu'il joue un rôle dans les questions du Moyen-Orient qui importent aux États-Unis, comme la fin de la guerre au Yémen, le réengagement de l'Iran, la lutte contre l'extrémisme islamiste et la promotion des liens arabo-israéliens. Le président a toutefois précisé que, contrairement à son prédécesseur Donald Trump, il n'aura pas de contact direct avec le prince Mohammed. M. Biden traite plutôt avec son père, le roi Salman. Comment Khashoggi a-t-il été tué ? Le journaliste Jamal Kashoggi a été un dur critique de la politique de la famille royale saoudienne. Khashoggi s'est rendu au consulat en octobre 2018 afin d'obtenir des papiers lui permettant d'épouser sa fiancée turque. Il aurait reçu l'assurance du frère du prince héritier, le prince Khalid bin Salman, qui était ambassadeur aux États-Unis à l'époque, qu'il pourrait visiter le consulat en toute sécurité. Le prince Khalid a nié toute communication avec le journaliste. Selon les procureurs saoudiens, Khashoggi a été retenu de force après une lutte et on lui a injecté une grande quantité de drogue, ce qui a entraîné une overdose qui a conduit à sa mort. Son corps a ensuite été démembré et remis à un \"collaborateur\" local en dehors du consulat, selon les procureurs. Les restes n'ont jamais été retrouvés. Des détails ont été révélés dans les transcriptions de prétendus enregistrements audio du meurtre obtenus par les services secrets turcs."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49956007", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49945964", "doc1": "কিছু ধর্মীয় নেতা \"হালাল বিয়ের\" নামে নারী ও শিশুদের শোষণ করে আসছে। ইরাকের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাজারের আশেপাশে ধর্মীয় নেতাদের দ্বারা পরিচালিত কাজী অফিসগুলোয় গোপন অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ধর্মীয় নেতা স্বেচ্ছায় খুব স্বল্প সময়ের জন্য মাঝে মাঝে মাত্র এক ঘণ্টার জন্য 'উপভোগের জন্য বিয়ে' দিয়ে থাকে যেন যৌনমিলনকে বৈধতা দেয়া যায়। কেউ কেউ নয় বছরের কম বয়সী মেয়েদেরও এই 'অস্থায়ী বিয়ে'র জন্য স্বেচ্ছায় সরবরাহ করেছ��। তারা এই উপভোগের বিয়ের জন্য কনে হিসাবে নারী, এমনকি এবং অল্প বয়সী মেয়েদের সরবরাহ করার প্রস্তাবও দিয়েছিল। প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়েছে যে ধর্মীয় নেতারা শিশুদের যৌন নির্যাতনকে আশীর্বাদ জানানোর মাধ্যমে দালাল হিসেবে কাজ করছে। আরো পড়তে পারেন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার দুর্গাপূজা: নারীরা যেখানে কাঁধে তুলে নেয় ঢাক যুবলীগ নেতা সম্রাট যেভাবে ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন 'বাংলাদেশের উপকূলে ভারতীয় রেডার ব্যবস্থার লক্ষ্য চীন' নাওয়াল আল-মাগাফির নেতৃত্বে বিবিসির তদন্ত শেষ হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। উপভোগের জন্য বিয়ে বা অস্থায়ী বিয়ে উপভোগের জন্য বিবাহ - নিকাহ মুত'আহ - একটি বিতর্কিত ধর্মীয় রীতি যা শিয়া মুসলমানরা অস্থায়ী বিয়ের জন্য ব্যবহার করে। এর বিপরীতে নারীদের অর্থ প্রদান করা হয়। সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোয় তথাকথিত 'মিসিয়াহ' বিয়ে একই ধরণের কাজ সম্পাদন করে। মূলত এই প্রথায়, একজন পুরুষকে ভ্রমণের সময় তার স্ত্রীকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে আজকাল এই প্রথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে নারী ও পুরুষকে সীমিত সময়ের জন্য যৌন মিলনের অনুমতি দিতে। এই অনুশীলনটি মুসলমান পণ্ডিতদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করেছে। কারও কারও মতে এর মাধ্যমে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেয়া হয়েছে এবং বিবাহ কীভাবে স্বল্পমেয়াদী হতে পারে তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। বিবিসি'র ইরাকি ও ব্রিটিশ দল বিষয়টি নিয়ে ১১ মাস অনুসন্ধান চালিয়ে, ধর্মীয় নেতাদের ছবি গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করে, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সাথে যোগাযোগ করে, সেই সাথে সেইসব পুরুষদের সাথে কথা বলে যারা অস্থায়ী বিয়ের জন্য নারীদের পেতে ধর্মীয় নেতাদের টাকা দিতো। ১৫ বছরের যুদ্ধের পরে, আনুমানিক ১০ লাখ ইরাকি নারী বিধবা হয়ে পড়েন এবং আরও অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যান বলে ধারণা করা হয়। বিবিসির দল জানতে পেরেছে যে দারিদ্র্যের কারণে অনেক নারী এবং মেয়েরা এই অস্থায়ী আনন্দ বিবাহ প্রথায় প্রবেশ করছে। বিবিসির প্রতিবেদক একজন ভুক্তভোগী মেয়ের সাক্ষ্য শুনেছিলেন যিনি অভিযোগ করেছেন যে তাকে একজন ধর্মীয় নেতা এমন কাজের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। ব্যাপক সহজলভ্য ডকুমেন্টারি দলটি প্রমাণ পেয়েছিল যে ইরাকের পবিত্রতম দুটি মাজার অঞ্চলে অস্থায়ী বিবাহ ব্যাপকভাবে প্রচলিত। উদাহরণস্বরূপ, বাগদাদে শিয়া মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাজার কাদিমিয়ায় ১০ জন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে তারা কথা বলেছিলেন। তাদের মধ্যে আটজন বলেছেন যে তারা অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করবেন; পাঁচজন বলেছেন যে তারা ১২-১৩ বছর বয়সের একটি মেয়ের সাথে অস্থায়ী বিয়ে করাবেন। বিশ্বের বৃহত্তম শিয়া তীর্থস্থান কারবালায় বিবিসির এই দলটি চারজন ধর্মীয় নেতার কাছে যান। তাদের মধ্যে দু'জন অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অস্থায়ী বিয়ে করাতে রাজি হন। চারজন আলেমকে গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল। তিনজন বলেছেন যে তারা নারী সরবরাহ করবে, আর চারজনের মধ্যে দুজন বলেছেন যে তারা অল্প বয়সী মেয়ে সরবরাহ করবে। বাগদাদের একজন আলেম সাইয়িদ রাদ বিবিসির গোপন প্রতিবেদককে বলেছিলেন যে শরিয়া আইনে অস্থায়ী বিবাহের কোনও সময়সীমা বেধে দেয়া হয়নি: \"একজন পুরুষ তার যত খুশি নারীকে বিয়ে করতে পারবেন\" \"আপনি আধা ঘণ্টার জন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন এবং যত তাড়াতাড়ি তা শেষ হবে, তাৎক্ষণিকভাবে আপনি অন্য আরেকজনকে বিয়ে করতে পারবেন। কাদিমিয়া শিয়া মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান নয় বছরের বেশি হলেই হয় অনুসন্ধানকারীরা যখন সাইয়িদ রাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে কোনও শিশুর সাথে অস্থায়ী বিয়ে করা গ্রহণযোগ্য কিনা, তখন ওই আলেম জবাব দিয়েছিলেন: \"কেবল সতর্ক থাকতে হবে ওই শিশু যেন তার কুমারীত্ব না হারায়।\" তিনি আরও বলেন: \"আপনি তার সাথে ফোরপ্লে করতে পারেন, তার সাথে শুয়ে থাকতে পারেন, তার শরীর, তার স্তনগুলো স্পর্শ করতে পারেন ... আপনি তার সামনে থেকে সেক্স করতে পারবেন না বলে পায়ু পথে করতে পারবেন।\" মেয়েটিকে আহত হলে কী হবে, এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে আলেম তাড়াহুড়ো করে জবাব দেন। \"মেয়েটি ব্যথা নিতে পারবে কি পারবে না সে বিষয়টি আপনার এবং তার মধ্যকার ব্যাপার।\" কারবালার একজন আলেম শেখ সালাউইকে তদন্তকারী গোপন ক্যামেরায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কোনও ১২ বছরের কিশোরী কী মুত'আহর জন্য গ্রহণযোগ্য হবে? \"হ্যাঁ, নয় বছরের বেশি হলেই হবে- কোনও সমস্যা নেই। শরিয়া অনুসারে কোনও সমস্যা নেই,\" তিনি বলেছিলেন। সাইয়্যিদ রাদের মতো তিনিও বলেছিলেন যে একমাত্র বিষয় হল মেয়েটি কুমারী কিনা। সেক্ষেত্রে ফোরপ্লের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং নাবালিকা সম্মতি জানালে পায়ুপথে সেক্সও গ্রহণযোগ্য, তিনি আরও বলে���: \"আপনি যা চান তা করুন।\" কাদিমিয়া মাজার ফোনে বিয়ে শিশুদের সাথে অস্থায়ী বিয়ের প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করার জন্য, এই প্রতিবেদক সাইয়্যিদ রাদকে 'শায়মা' নামে একটি কাল্পনিক ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর বর্ণনা দিয়েছিলেন যার সাথে তিনি অস্থায়ী বিয়ে চান। বাস্তবে মেয়েটির ভূমিকায় বিবিসির একজন সহকর্মী অভিনয় করেছিলেন। সাইয়িদ রাদ ওই মেয়েটির সাথে দেখা করেননি বা তার পরিবারের সাথে কথা বলেননি। ছদ্মবেশী প্রতিবেদকের সাথে ট্যাক্সিতে বসে ফোনের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি হন তিনি। তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করন: \"শায়মা, তুমি কি তাকে বিয়ে করার ব্যাপারে আমাকে তোমার সম্মতি জানাতে রাজি হয়েছ এবং এক দিনের জন্য সে দেড় লক্ষ দিনার দেবে?\" শেষে তিনি বলেন: \"এখন আপনারা দুজনই বিবাহিত এবং আপনাদের এক সাথে থাকা হালাল।\" তিনি কয়েক মিনিটের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গোপন প্রতিবেদকের কাছে ২০০ ডলার দাবি এবং কাল্পনিক ১৩ বছর বয়সের মেয়েটির কল্যাণের জন্য কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। দারিদ্র্যের কারণে অনেক নারীকে পথে আসতে বাধ্য করা হয়। ধর্মীয় আচ্ছাদন একজন বিবাহিত ব্যক্তি যিনি অপরিচিত নারীদের সাথে সহবাস করার জন্য আলেমদের মাধ্যমে নিয়মিত অস্থায়ী বিবাহ ব্যবহার করে থাকেন, তিনি বিবিসিকে বলছিলেন: \"১২ বছর বয়সের এক শিশুর দাম অনেক বেশি কারণ সে এখনও নিখুঁত। তার জন্য অনেক খরচ করতে হবে- ৫০০, ৭০০ এমনকি ৮০০ ডলার-শুধুমাত্র ওই ধর্মীয় নেতাকেই দিতে হবে।\" তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁর এমন আচরণকে ধর্মীয় আচ্ছাদনে বৈধতা দেয়া হয়েছে: \"যদি কোনও ধার্মিক লোক আপনাকে বলেন যে অস্থায়ী বিবাহ হালাল, তবে এটি পাপ হিসাবে গণ্য হবে না।\" নারী অধিকার কর্মী ইয়ানার মোহাম্মদ, যিনি পুরো ইরাক জুড়ে নারীদের আশ্রয়ের একটি নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন, বলেছেন যে মেয়েদেরকে মানুষের চেয়ে বরং 'পণ্যদ্রব্য' হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, \"তারা এই মেয়েদের নির্দিষ্ট উপায়ে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে তারা কুমারীত্ব টিকিয়ে রাখছে ভবিষ্যতে বড় ধরণের ব্যবসা করার জন্য,\" তিনি বলেন। 'বড় ধরণের ব্যবসা' বলতে তিনি বিয়েকে বুঝিয়েছেন। যেখানে একটি মেয়ের কুমারীত্ব হারিয়ে গেলে, তাকে বিবাহের অযোগ্য হিসাবে দেখা হয় এমনকি সে তার পরিবারের জন্য অসম্মান বয়ে আনার কারণে নিজ পরিবারের দ্বারা হত্যার ঝুঁকিতেও থাক���। তিনি বলেন, \"সব সময় মেয়ে এবং নারীদেরই এর মূল্য দিতে হয়।\" কারবালা মসজিদ শিয়া মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ডকুমেন্টারি নির্মাতারা এই ধর্মীয় নেতাদের সাথে কথোপকথন গোপনে ক্যামেরায় রেকর্ড করেন যেখানে তারা বলেছিল যে তারা অল্প বয়সী মেয়েদের সরবরাহ করতে রাজি আছে। বিবিসির এই দলটি একজন ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যও নিয়েছিলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন যে তাকে একজন ধর্মীয় নেতাই এই দেহ-ব্যবসায় ঠেলে দিয়েছে। এবং তার সাক্ষ্যের প্রতি অন্যান্যরাও সমর্থন জানিয়েছে। দলটি গোপনে এমন একজন আলেমকে ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন যিনি ছদ্মবেশী প্রতিবেদকের সামনে একজন তরুণীকে ২৪ ঘণ্টার সম্ভাব্য অস্থায়ী বিয়ের জন্য হাজির করেছিলেন। এখানে মূলত ওই ধর্মীয় নেতা দালালের ভূমিকা পালন করছিলেন। ছদ্মবেশী প্রতিবেদক যখন অস্থায়ী বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান, তখন ওই ধর্মীয় নেতা বলেন যে তিনি তার কোনও কিশোরী মেয়ের সঙ্গে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন কিনা। সেক্ষেত্রে তিনি তেমন কাউকে খুঁজে বের করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আরও পড়তে পারেন: কৈশোরে পা দেবার আগেই অন্ধকার জীবন নারীবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: মোহনদাস গান্ধীর যত বিতর্কিত দিক 'যৌন আকর্ষণ কী জিনিস সেটা আমি জানিনা' নিন্দা গাইথ তামিমি ইরাকের একজন প্রাক্তন উচ্চ পদস্থ শিয়া আলেম, যিনি মৌলবাদের বিষয়ে কথা বলার কারণে এখন লন্ডনে নির্বাসনে আছেন। তিনি সেইসব ধর্মীয় নেতাদের প্রতি নিন্দা জানান যারা নারীদের শোষণ করার জন্য অস্থায়ী বিবাহ প্রথাকে ব্যবহার করছে, বিশেষত খুব অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অস্থায়ী বিয়ের বৈধতা দিচ্ছে। তার মতে,\"এটি এমন একটি অপরাধ, যার জন্য আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।\" ইরাকের কয়েকজন শিয়া ধর্মীয় নেতা লিখেছেন যে ইসলামী আইন শিশুদের সাথে যৌন সম্পর্কের অনুমতি দেয়। তামিমি শিয়া নেতাদের আহ্বান জানান যেন তারা এ ধরণের অনুশীলনকে নিন্দা জানান। বিবিসি নিউজ আরবি গোপনে চিত্রায়িত তিনজন আলেমের মধ্যে দুজন, নিজেদের শিয়া ইসলামের অন্যতম জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব আয়াতুল্লাহ সিস্তানির অনুসারী বলে বর্ণনা করেছেন। তবে বিবিসির কাছে এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ বলেছেন: 'আপনি যেভাবে বলছেন সেভাবে যদি এই ঘটনাগুলো ঘটে থাকে তবে আমরা অকপটে তাদের নিন্দা জানাই। অস্থায়ী বিয়েকে এভাবে যৌনতা বিক্রির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি যা নারীদের মর্যাদা এবং নারীর প্রতি মানবিকতাকে ছোট করে।\" ইরাকি সরকারের একজন মুখপাত্র বিবিসি আরবিকে বলেছেন: \"নারীরা যদি আলেমদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে না যান, তবে কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন।\"", "doc2": "Le \"mariage de plaisir\" est une pratique religieuse controversée, utilisée par les musulmans chiites. Il s'agit d'une union temporaire, pour laquelle la femme est rémunérée. Lire aussi : Vaincre les mariages précoces par le football Le \"mariage de plaisir\" est illégal, selon le droit irakien. Des hommes, des chefs religieux notamment, y recourent en rémunérant leurs partenaires pour des unions de courte durée. Certains de ces \"mariages\" durent seulement… une heure. Le temps d'avoir des rapports sexuels. Quelques-unes des filles \"mariées\" de la sorte ont à peine neuf ans. L'enquête de la BBC sur le \"mariage de plaisir\" a été dirigée par Nawal al-Maghafi. Dans les pays à majorité sunnite, ce mariage dit \"misyah\" remplit une fonction similaire, permettant à un homme de se chercher une partenaire, lors d'un voyage par exemple. Aujourd'hui, il est utilisé pour permettre à un homme et à une femme d'avoir des relations sexuelles pendant une période déterminée. Cette pratique divise les érudits musulmans, certains d'entre eux estimant que c'est un moyen de légitimation de la prostitution. Et la possibilité qu'un mariage soit de courte durée suscite la controverse chez ces érudits. Des journalistes irakiens et britanniques travaillant pour la BBC ont enquêté sur le sujet pendant plus de 11 mois, en Irak. Lire aussi : Sénégal : sommet contre les mariages précoces Quinze années après la guerre menée contre l'Irak par les Etats-Unis, le nombre de veuves irakiennes est estimé à un million. A cause de la pauvreté, de nombreuses femmes sont contraintes d'accepter le \"mariage de plaisir\", selon les journalistes de la BBC. Ils constatent que le \"mariage de plaisir\" est surtout pratiqué dans deux des villes les plus religieuses d'Irak. La BBC a écouté le témoignage d'une mineure qui prétend avoir été prostituée par un religieux. A Khadimiya par exemple, un quartier de Bagdad, un des sanctuaires les plus importants de la communauté chiite, huit des chefs musulmans rencontrés se sont prononcés en faveur du \"mariage de plaisir\". La moitié d'entre eux dit être prête à contracter cette forme d'union avec des filles de 12 ou 13 ans. Les journalistes se sont également rapprochés de quatre religieux à Karbala, le plus grand lieu de pèlerinage chiite du monde. Deux d'entre eux disent être favorables au \"mariage de plaisir\" avec de jeunes filles. Lire aussi : La Guinée indignée par le mariage d'une fille de 13 ans Sayyid Raad, un religieux de Bagdad, a déclaré à la BBC que la charia, la loi islamique, n'impose aucune limite de temps pour le \"mariage de plaisir\" : \"Un homme peut épouser autant de femmes qu'il veut. Tu peux épouser une fille pendant une demi-heure, et dès que c'est fini, tu peux en épouser une autre.\" Kadhimiya est un important lieu de pèlerinage pour les musulmans chiites. Lorsque l'un des journalistes a demandé à Sayyid Radd s'il était acceptable d'avoir un \"mariage de plaisir\" avec une enfant, le religieux a répondu : \"Faites attention à ce qu'elle ne perde pas sa virginité.\" Il a ajouté : \"Tu peux avoir des préliminaires avec elle, coucher avec elle, toucher son corps, ses seins... Tu ne peux pas la pénétrer par le devant. Mais le sexe anal, c'est bien.\" Lire aussi : \"Nous avons accepté 3 500 $ pour marier notre fille de cinq ans\" La BBC a demandé à Sheikh Salawi, un religieux de Karbala, s'il est acceptable de contracter un \"mariage de plaisir\" avec une fille de 12 ans. \"Oui, à partir de neuf ans, il n'y a pas de problème du tout. Selon la charia, il n'y a pas de problème\", a-t-il répondu. Comme Sayyid Raad, il a dit que la seule question est de savoir si la fille est vierge. Les \"préliminaires\" sont autorisés, et les rapports sexuels anaux sont acceptables si le mineur y consent, dit-il. Yanar Mohammed, une militante irakienne des droits des femmes, déclare que les filles sont traitées comme des \"marchandises\" plutôt que comme des êtres humains. Elle souhaite que les filles préservent leur virginité jusqu'à ce qu'elles soient mariées. En Irak, lorsqu'une fille perd sa virginité avant la vie conjugale, elle est considérée comme inapte au mariage. Sa famille peut s'estimer avoir été déshonorée par elle. \"C'est toujours la fille, les femmes qui en paient le prix\", déplore Yanar Mohammed. Lire aussi : Le mot \"vierge\" proscrit du formulaire de mariage au Bengladesh Les journalistes de la BBC ont secrètement enregistré et filmé des conversations avec des chefs religieux qui disent être prêts à se marier avec de jeunes filles. Une fille mineure prétend avoir été prostituée par un chef religieux. Son témoignage a été corroboré par des témoins. Et un chef religieux a reconnu avoir contracté un \"mariage de plaisir\" pour… 24 heures. Beaucoup de femmes et de filles acceptent le \"mariage de plaisir\" à cause de la pauvreté. Ghaith Tamimi, un haut dignitaire chiite irakien, vit maintenant en exil à Londres. Il dénonce les religieux qui utilisent le \"mariage de plaisir\". \"Ce que cet homme dit est un crime qui doit être puni par la loi\", soutient-il, parlant de l'un des témoignages en faveur de la pratique du \"mariage de plaisir\". Selon certains chefs religieux chiites irakiens, la loi islamique autorise les actes sexuels avec des enfants. Ghaith Tamimi, lui, invite les dirigeants chiites à condamner cette pratique. La mosquée de Karbala est l'un des sites les plus sacrés de l'islam chiite. Deux religieux secrètement filmés lors de l'enquête de la BBC disent être des adeptes de l'ayatollah Sistani, l'une des principales figures de l'islam chiite. Mais, dans une déclaration à la BBC, l'ayatollah a déclaré : \"Si ces pratiques se produisent de la manière dont vous le dites, nous les condamnons sans réserve. Le mariage temporaire ne doit pas être utilisé (…) pour porter atteinte à la dignité et à l'humanité des femmes.\" \"Si les femmes ne vont pas à la police pour dénoncer les religieux, il est difficile pour les autorités d'agir\", a dit un porte-parole du gouvernement irakien à la BBC."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47679054", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47709522", "doc1": "'সপ্তাহে তিন চারটি ডিম খেলে কোন বিপদের সম্ভাবনা নেই' আমেরিকান মেডিক্যাল জার্নাল জে এ এম এ-র প্রকাশিত এক জরিপ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন মাত্র দুটি ডিম খেলেই হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়, এবং অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। এতে বলা হয়, আসলে ডিম খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিনা - তা হয়তো নির্ভর করে আপনি কতগুলো ডিম খাচ্ছেন তার ওপর। ডিম নিয়ে এ উদ্বেগের কারণ হচ্ছে: ডিমের কুসুমে থাকে বিপুল পরিমাণ কোলেস্টেরল। একটি বড় আকারের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১৮৫ মিলিগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মানুষের খাদ্যে দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল থাকা উচিত নয়। অথচ এর অর্ধেকেরও বেশি কোলেস্টেরল আছে একটি মাত্র ডিমে। ঝুঁকি আসলে কতটা? এ জরিপে মোট ৬টি পরীক্ষার উপাত্ত ব্যবহৃত হয়েছে - যা ১৭ বছর ধরে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা। গবেষকরা এর পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে - খাবারের সাথে দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ১৭ শতাংশ, আর অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে ১৮ শতাংশ। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাঘুসের পতন দিয়ে আইএসের 'খিলাফতের' অবসান আর্থিক খাতে সাইবার ক্রাইম ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন? জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিলেন এরশাদ ১৯৭১: ভারতকে যেভাবে সাহায্য করে ইসরায়েল বিশেষ করে ডিমের ক্ষেত্রে গবেষকরা দেখতে পান যে প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারটি ডিম খাবার সাথে হৃদরোগে��� ৬ শতাংশ বাড়তি ঝুঁকি এবং অকালমৃত্যুর ৮ শতাংশ বাড়তি ঝুঁকির সম্পর্ক আছে। আর প্রতি দিন দুটি করে ডিম খেলে এ ঝুঁকি বাড়ে যথাক্রমে ২৭ ও ৩৪ শতাংশ। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু 'যদি' আছে জরিপটি বলছে, হৃদরোগ বা অকালমৃত্যুর সাথে ডিমের এই সম্পর্কের সাথে বয়স, ফিটনেসের স্তর, তামাক ব্যবহার, বা উচ্চ রক্তচাপের মতোআগে থেকে বিদ্যমান কোন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্পর্ক নেই। ডিম খেতে ভালোবাসেন? তাহলে কুসুম বাদ দিয়ে শ্বেতাংশটা খান \"আমাদের জরিপে দেখা গেছে যে দুজন লোক যদি হুবহু একই খাবার খায়, এবং একজনের ক্ষেত্রে শুধু ডিমের পরিমাণটিই আলাদা হয় - তাহলে এ লোকটির হৃদযন্ত্রের সমস্যার ঝুঁকি বেশি হবে\" - এ কথা বলছেন জরিপ রিপোর্টটির অন্যতম প্রণেতা, এবং নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক নোরিনা এ্যালেন। 'আগেকার গবেষণার সাথে এ ফলাফল মিলছে না' এর আগের গবেষণায় বলা হয়েছিল, ডিম খাওয়া এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু নতুন এই গবেষণার সাথে সেসব ফলাফল মিলছে না। নোরিনা এ্যালেন বলছেন, আগেকার জরিপগুলোতে নমুনার বৈচিত্র্য কম ছিল এবং অংশগ্রহণকারীদের ওপর নজর রাখা হয়েছিল কম সময় ধরে। তবে এই গবেষকরাও স্বীকার করছেন যে তাদের জরিপ পদ্ধতি বা বিশ্লেষণেও ভুল থাকতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, নতুন গবেষণাটির ফল 'পর্যবেক্ষণমূলক' - তারা ইঙ্গিত করছেন যে ডিম খাওয়ার সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির সম্পর্ক থাকতে পারে - কিন্তু 'একটার কারণেই যে অন্যটা হচ্ছে' তা প্রমাণ করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছুকাল ধরেই প্রতিদিন দুটি ডিম খাওয়ার সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছিল তাহলে এবার বলুন, দিনে ক'টা ডিম খাওয়া যাবে? কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ - এ প্রশ্ন করা হলে নোরিনা এ্যালেন বলছেন, সপ্তাহে তিনটির বেশি নয়। তিনি আরো বলেন, \"আমি ডিম খাওয়া একেবারে বাদ দিতে বলছি না, শুধু কমাতে বলছি - এবং কুসুম বাদ দিয়ে প্রধানত ডিমের শ্বেতাংশটাই খেতে বলছি।\" এক জরিপে বলা হয়, একজন আমেরিকান বছরে গড়ে ২৫২টি ডিম খায়। সেদেশে ২০ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগের কারণে। কিন্তু জাপানে এক জন লোক বছরে গড়ে ৩২৮টি ডিম খায়, কিন্তু সেখানে হৃদরোগে মৃত্যু হয় মাত্র ১১ শতাংশ লোকের। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টম স্যান্ডার্স বলছেন, পরিমিত মাত্রায় ডিম খেলে - যেমন সপ্তাহে তিন থেকে চ���রটি - তাতে কোন সমস্যা নেই। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যাবে ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ ডিম খাওয়া নিয়ে বিজ্ঞানীদের মত বদলাচ্ছে কেন? সকালে নাস্তা করাটা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?", "doc2": "La consommation de deux œufs par jour a été associée à une augmentation significative du risque de maladies cardiovasculaires et de décès prématurés aux États-Unis. Il semble que la réponse pourrait dépendre de notre consommation hebdomadaire - c'est la conclusion d'une nouvelle étude médicale publiée dans la revue médicale JAMA. Selon cet article, manger deux œufs par jour peut déjà causer des dommages cardiovasculaires et une mort prématurée. Ceci est du aux grandes quantités de cholestérol contenues dans les jaunes d'œuf : un gros œuf contient environ 185 milligrammes de cholestérol, selon le Département de l'agriculture des États-Unis - plus de la moitié de l'apport quotidien maximal recommandé par l'Organisation mondiale de la santé (300 milligrammes par jour). Lire aussi : Bien manger et faire du sport, c'est mieux vivre Faim en RDC : une génération sacrifiée Risques proportionnels L'étude a analysé les données de six études impliquant plus de 30 000 participants sur 17 ans. Les chercheurs ont conclu que manger 300 mg de cholestérol par jour augmentait le risque de maladies cardiovasculaires de 17 % et les cas de décès prématurés de 18 %. Dans le cas particulier des œufs, les scientifiques ont constaté que la consommation de trois ou quatre œufs par semaine était associée à un risque accru de 6 % de maladies cardiovasculaires et à un risque accru de 8 % de décès prématuré. La consommation de deux œufs par jour entraîne des augmentations de 27% de maladies cardiovasculaires et de 34% de décès prématurés. Si vous aimez les œufs, vous pouvez manger plus de blancs et moins de jaunes. Mises en garde Ces risques accrus, selon l'étude, sont indépendants de l'âge, de la condition physique, de l'usage du tabac ou de conditions préexistantes comme l'hypertension artérielle. Des études contradictoires Ces nouvelles recherches contredisent les travaux antérieurs qui n'avaient établi aucun lien entre la consommation d'œufs et un risque accru de maladies cardiaques. Mme. Allen indique toutefois que l'échantillon de ces études était moins diversifié et que la période de surveillance des sujets était courte. Lire aussi : Plutôt viande ou légumes ? L'impact climatique de vos aliments Pourquoi aimons-nous certains aliments et pas d'autres ? Cependant, les chercheurs admettent qu'il pourrait y avoir des erreurs dans leur analyse. Les données sur la consommation d'œufs ont été recueillies au moyen de questionnaires dans lesquels les répondants devaient se rappeler leur régime alimentaire au cours des mois et des années précédents. D'autres experts ont également souligné que les résultats sont fondés sur l'observation et, bien qu'ils suggèrent une relation entre la consommation d'oeufs et un risque accru de maladie cardiaque et de mort prématurée, ils ne peuvent prouver la causalité. La modération de la consommation pourrait être la clé pour éviter les complications de santé. \"La force de cette étude réside dans le fait qu'elle était plus représentative de la diversité ethnique de la population américaine et des régimes alimentaires des Américains ordinaires \", explique Tom Sanders, professeur de nutrition et de diététique au King's College London. \"Ses limites sont la dépendance à une seule mesure de l'apport alimentaire.\" Quantité recommandée Alors, combien d'oeufs devrions-nous manger ? La coauteur de l'étude, Norrina Allen, recommande pas plus de trois par semaine. Elle donne aussi quelques conseils aux amateurs d'œufs, comme par exemple manger principalement les blancs. \"Je ne préconise pas que les gens retirent complètement les œufs de leur régime alimentaire, je suggère juste que les gens les mangent avec modération\", explique-t-elle. Lire aussi : Le fonio, la \"plus savoureuse des céréales\", revient dans les assiettes L'armée en guerre contre le surpoids Tom Sanders observe également que l'étude se concentre sur des sujets américains: \"L'apport moyen en cholestérol aux États-Unis peut atteindre environ 600 mg par jour, ce qui est beaucoup plus élevé que la moyenne du Royaume-Uni, qui est d'environ 225 mg par jour \". En fait, les statistiques les plus récentes de la Commission internationale de l'œuf, datant de 2015, montrent que les Américains ne se classent qu'au septième rang dans le classement des plus grands mangeurs d'œufs du monde - environ 252 par personne chaque année. Mais les maladies cardiaques sont responsables de près de 20 % des décès dans le pays. Le Japon, où la consommation annuelle d'œufs s'élève à 329 par habitant, n'enregistre que 11 % de décès par maladies cardiaques. \"Des œufs avec modération - environ 3 à 4 par semaine - c'est bien\", ajoute l'expert britannique. A regarder : Faire reculer le diabète chez les enfants en Afrique sub-saharienne"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55744780", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55752046", "doc1": "ওভাল অফিসে জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সময় তিনি টুইটে বলেন, \"আমাদের সামনে যে সংকট রয়েছে সেটি সামাল দিতে অপচয় করার মতো কোন সময় নেই।\" করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানকে ঠিক উল্টে দিয়েছে। বুধবার সকালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর মি. বাইডেন ওভাল অফিসে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে শপথ অনুষ্ঠান বেশ আলাদা হয়েছে। শপথ ও অন্য অনুষ্ঠানে মাত্র হাতে গোনা কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, \"গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।\" ট্রাম্প শাসনের অশান্ত বছরগুলোর পর একতার বার্তা দিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি \"সব আমেরিকানদের\"- এমনকি যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদেরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তার তিন জন পূর্বসূরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: বারাক ওবামা- যার অধীনে আট বছর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন মি. বাইডেন, বিল ক্লিনটন এবং জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং মি. ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উপস্থিত ছিলেন। মি. বাইডেনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমালা হ্যারিস। এই পদে দায়িত্ব নেয়া প্রথম নারী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান-আমেরিকান ব্যক্তিও তিনি। গত ৬ই জানুয়ারি ট্রাম্পের সহিংস সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনের দখল নেয়ার ঘটনার পর অনুষ্ঠানকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মি. বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, মিস হারিস ও তার স্বামী ডো এমহফের সালে পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ দিয়ে হেটে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। সেসময় বন্ধু এবং সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান তারা। পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ হয়ে হেঁটে হোয়াইট হাউসে যান প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি। শপথ অনুষ্ঠানে লেডি গাগা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সেই সাথে ছিলন জেনিফার লোপেজ এব�� গার্থ ব্রুকস। আমেরিকার প্রথম ন্যাশনাল ইয়ুথ পয়েট লরেট অ্যামান্ডা গোরম্যান তার লেখা দ্য হিল উই ক্লাইম্ব নামে কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আরো পড়ুন: লিংকন মেমোরিয়ালে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক কনসার্টে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন টম হ্যাংকস, ব্রুস স্প্রিংস্টিন, জন লিজেন্ড, জন বন জোভি, জাস্টিন টিম্বারলেক এবং ডেমি লোভাটো। বাইডেন কী কী নির্বাহী আদেশে সই করেছেন? নির্বাহী আদেশের বর্ণনা করে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন \"শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোই সংশোধন করবেন না বরং তিনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।\" করোনাভাইরাস মহামারি সামাল দিতে ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সব ধরণের কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। মহামারির বিষয়ে পদক্ষেপের সমন্বয় করতে একটি আলাদা দপ্তর গড়ে তোলা হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু করা প্রক্রিয়া স্থগিত করা হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা দিতে চান মি. বাইডেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর সাথে আবারো যুক্ত হওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফানি দুজারিক জানান, মহাসচিব বলেছেন যে, সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এটি \"অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ\"। মি. বাইডেন আরো জানিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্বাহী আদেশ সই করেছেন তিনি। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প। বিতর্কিত কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল অনুমোদন বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। কিস্টোন পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রথম বিশ্বনে���া হিসেবে ফোন করার পর এ বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন মি. বাইডেন। বেসরকারিভাবে অর্থায়নে থাকা পাইপলাইনটির মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানিটি কানাডার আলবার্টা থেকে নেব্রাস্কায় দৈনিক আট লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহন করতো। ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠায় আনা একটি বিলে ভেটো দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু সেটি উল্টে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিবাসনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা জরুরি প্রস্তাবনা বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই জরুরি প্রস্তাবনার অধীনে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো বর্ণ এবং লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক। হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। বাইডেন প্রেসিডেন্সির আওতায় প্রথম অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বার্থকে প্রচার করবেন নাকি \"সাদামাটা সত্য\" উপস্থাপন করবেন। এর উত্তরে তিনি বলেন, \"মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার\" সাথে তিনি \"সরকারে স্বচ্ছতা এবং সত্য ফিরিয়ে আনতে\" প্রেসিডেন্টের সাথে কাজ করবেন।", "doc2": "Le président Biden a rapidement signé des décrets sur le coronavirus, le changement climatique et l'inégalité raciale Dans ses premiers actes en tant que 46ème président des États-Unis, il a signé 15 décrets - les premiers à stimuler la réponse fédérale à la crise du coronavirus. D'autres décrets ont inversé la position de l'administration Trump sur le changement climatique et l'immigration. Le président Biden s'est mis au travail dans le Bureau ovale après avoir prêté serment plus tôt mercredi au Capitole américain. A ne pas manquer sur BBC Afrique La mode à l'investiture de Biden : du violet, des perles et des gants Qui est Joe Biden, l'homme qui tente de devenir président depuis 1987? L'ascension fulgurante de Kamala Harris L'investiture n'était pas comme les autres en raison des restrictions liées au coronavirus, et peu de personnes étaient présentes pour assister aux prestations de serments et autres cérémonies. Donald Trump, qui n'a toujours pas officiellement cédé la présidence à M. Biden, a refusé d'assister à l'événement, contrairement à la tradition. Le président Biden : \"La démocratie est fragile, et à cette heure, mes amis, la démocratie l'a emporté\" Quels sont les décrets signés par Biden ? \"Il n'y a pas de temps à perdre lorsqu'il s'agit de s'attaquer aux crises auxquelles nous sommes confrontés\", a tweeté le président Biden alors qu'il se rendait à la Maison-Blanche après son investiture. Le président Biden \"prendra des mesures - non seulement pour réparer les dommages les plus graves causés par l'administration Trump - mais aussi pour commencer à faire avancer notre pays\", indique un communiqué détaillant ses décrets. En ce qui concerne le coronavirus, une série de mesures seront prises pour lutter contre la pandémie qui a fait plus de 400 000 victimes aux États-Unis. Il sera obligatoire de porter des masques et de pratiquer la distanciation sociale sur toutes les propriétés du gouvernement fédéral. Un nouveau bureau sera mis en place pour coordonner la réponse à la pandémie et les États-Unis mettront un terme au processus - entamé par l'administration Trump - de retrait de l'Organisation mondiale de la santé (OMS). M. Biden veut vacciner 100 millions d'Américains dans les 100 premiers jours de son mandat La décision de renouer avec l'OMS a été saluée par le secrétaire général des Nations unies, Antonio Guterres, qui a déclaré qu'elle était \"absolument essentielle\" pour une réponse mondiale plus coordonnée, a déclaré son porte-parole, Stéphane Dujarric. M. Biden s'est également engagé à faire de la lutte contre le changement climatique une priorité absolue de son administration. Il a signé un décret qui lance le processus de réintégration de l'accord de Paris sur le climat de 2015, dont M. Trump a officiellement retiré les États-Unis l'année dernière. L'envoyé de M. Biden pour le climat, l'ancien secrétaire d'État américain John Kerry, a tweeté que cet engagement fixait \"un plancher, pas un plafond\" pour le leadership américain en matière de climat et a exhorté à la coopération internationale avant la Conférence des Nations unies sur le changement climatique (Cop26) qui se tiendra à Glasgow en novembre. M. Biden a également révoqué le permis présidentiel accordé au controversé pipeline Keystone XL, que les environnementalistes et les groupes amérindiens ont combattu pendant plus d'une décennie. Cette décision sera discutée lors du premier appel téléphonique de M. Biden à un dirigeant étranger - le Premier ministre canadien Justin Trudeau - vendredi, a déclaré l'attachée de presse de la Maison Blanche Jen Psaki. Le projet de pipeline Keystone XL a donné lieu à des années de protestations L'oléoduc financé par le secteur privé - dont le coût est estimé à environ 8 milliards de dollars (5,8 milliards de livres sterling) - transporterait environ 830 000 barils de brut lourd par jour des sables bitumineux de l'Alberta, au Canada, vers le Nebraska. Barack Obama a opposé son veto à un projet de loi approuvant la construction de l'oléoduc en 2015, mais la décision a été annulée par le président Trump. En ce qui concerne l'immigration, M. Biden a révoqué la déclaration d'urgence de l'administration Trump qui avait contribué à financer la construction d'un mur le long de la frontière mexicaine et a également mis fin à l'interdiction de voyager dans certains pays à majorité musulmane. D'autres ordonnances portent sur la race et l'égalité des sexes. C'est la partie (relativement) facile Joe Biden et son équipe présidentielle ont eu près de trois mois pour planifier ses premières actions dès sa prestation de serment. Donald Trump avait largement utilisé son autorité exécutive pour faire avancer de larges pans de son programme politique, de sorte que la manière dont Biden commencerait à défaire ces actions - et le moment où il le ferait - revêtirait une importance particulière. Il n'a pas fallu longtemps pour que le nouveau président montre sa main. Il a notamment ciblé certaines des parties les plus controversées de l'agenda de Trump. L'administration Biden va également geler tous les règlements de dernière minute de Trump en attendant un examen plus approfondi. L'action de l'exécutif est cependant la partie (relativement) facile. Pour que Biden puisse apporter des changements durables - des politiques qui ne peuvent être défait par les futurs présidents - il devra travailler avec le Congrès pour faire passer des lois sur des questions comme l'aide aux pandémies, la citoyenneté des migrants sans papiers, la réforme des soins de santé et la protection des droits de vote. A lire aussi Des familles attendent d'être réunies après l'interdiction de voyager de M. Trump Il a également refusé, pour l'instant, de prendre d'autres mesures exécutives, comme l'annulation de la dette des prêts étudiants, la levée des restrictions commerciales de M. Trump ou la promulgation de nouvelles mesures de justice pénale. Avec les démocrates aux commandes à la Chambre des représentants et au Sénat, Biden dispose d'une fenêtre pour des réalisations, même s'il devra surmonter les obstacles procéduraux des républicains et maintenir son parti dans le droit chemin. Les décennies d'expérience du président en tant que législateur pourraient s'avérer utiles. Lors de la première conférence de presse de la présidence Biden, il a été demandé à l'attachée de presse Jen Psaki si sa priorité était de promouvoir les intérêts du président Biden, ou de fournir \"la vérité absolue\". Elle a déclaré qu'elle avait \"un profond respect pour le rôle d'une presse libre et indépendante\" et qu'elle se joindrait au président pour ramener \"la transparence et la vérité au gouvernement\". Le président Trump - et ses attachés de presse - ont souvent eu des relations conflictuelles avec les médias. La Maison Blanche a une nouvelle attachée de presse - Jen Psaki Que s'est-il passé lors de l'inauguration ? \"La démocratie a prévalu\", a déclaré le président Biden après avoir prêté serment avec le président de la Cour suprême John Roberts sur la scène devant le Capitole américain. Livrant un message d'unité après les années turbulentes de Trump, il a promis d'être un président \"pour tous les Américains\" - y compris ceux qui ont voté contre lui. Trois de ses prédécesseurs ont assisté à la cérémonie : Barack Obama - sous lequel M. Biden a été vice-président pendant huit ans - Bill Clinton et George W Bush, ainsi que le vice-président de M. Trump, Mike Pence. Kamala Harris a prêté serment en tant que vice-président avant M. Biden. Elle est la première femme - et la première personne noire et asiatique-américaine - à occuper ce poste. Kamala Harris a été assermenté par Sonia Sotomayor, juge à la Cour suprême La sécurité de la cérémonie a été renforcée après que le Capitole américain ait été pris d'assaut par de violents manifestants pro-Trump le 6 janvier. M. Biden et la première dame Jill Biden, ainsi que Mme Harris et son mari Doug Emhoff, ont ensuite marché sur Pennsylvania Avenue jusqu'à la Maison Blanche, pour saluer leurs amis et leurs partisans. Le président Joe Biden et la première dame Jill Biden ont parcouru une partie de l'avenue de Pennsylvanie jusqu'à la Maison Blanche La cérémonie d'inauguration comprenait des prestations musicales de Lady Gaga - qui a chanté l'hymne national - ainsi que de Jennifer Lopez et Garth Brooks. Amanda Gorman, la toute première poétesse lauréate nationale de la jeunesse américaine, a récité son œuvre The Hill We Climb. Amanda Gorman a déclamé son poème: la colline que nous gravissons Qui est Amanda Gorman, la poétesse de l'investiture de Biden ? Un concert télévisé de 90 minutes en soirée intitulé \"Celebrating America\" a été organisé au Lincoln Memorial dans la ville. Animé par Tom Hanks, il mettait en vedette Bruce Springsteen, John Legend, Jon Bon Jovi, Justin Timberlake et Demi Lovato et s'est terminé par un spectaculaire feu d'artifice. Qu'en est-il de Donald Trump ? M. Trump a été le premier président à ne pas assister à l'investiture de son successeur depuis 1869. Il a quitté la Maison Blanche tôt mercredi et s'est rendu à la base aérienne d'Andrews, située à proximité. Trump quitte la Maison Blanche pour la dernière fois en tant que président des Etats-Unis Dans son discours d'adieu à la base, il a souligné ce qu'il considère comme les succès de sa présidence. \"Ce que nous avons fait est extraordinaire à tous points de vue\", a déclaré M. Trump. L'homme de 74 ans est ensuite parti pour son club de golf de Mar-a-Lago en Floride, où il est arrivé plus tard dans la matinée. Dans ses dernières heures de présidence.... A lire aussi Le président américain Donald Trump pourrait-il être destitué? Trump peut-il s'accorder une grâce pour ne pas être poursuivi après sa présidence? Le drame politique qui entoure M. Trump est loin d'être terminé. Le Sénat américain devrait bientôt le juger, après sa deuxième mise en accusation record par la Chambre des représentants pour avoir prétendument incité à l'émeute du Capitole. Mardi, le leader républicain du Sénat, Mitch McConnell, a déclaré que la foule avait été provoquée par M. Trump et nourrie de mensonges."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54933566", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54863896", "doc1": "জো বাইডেন ও শি জিনপিং - কিছুদিনের মধ্যেই কি দুই নেতা ফোনে কথা বলবেন? শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তার বক্তব্যে বলেন, \"আমরা আমেরিকার মানুষের পছন্দকে সম্মান করি। আমরা মি. বাইডেন ও মিজ হ্যারিসের প্রতি আমাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।\" চীন-মার্কিন সম্পর্ক এই দুই দেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ বাকি বিশ্বের জন্যও। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য, করোনাভাইরাস মহামারি ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাশিয়াও এখন পর্যন্ত অভিনন্দন জানায়নি। চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন তাকে অভিনন্দন জানানো প্রথম কয়েকজন রাষ্ট্র নেতার মধ্যে ছিলেন ভ্লাদিমি��� পুতিন। তবে এবার জো বাইডেনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো টুইট, টেলিগ্রাম বা ফোন কলও করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই সঠিক কাজ।\" শনিবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়ের পূর্বাভাস সম্পর্কে খবর প্রকাশ করা শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতারা মি. বাইডেনকে ফোন করে অভিনন্দন জানানো শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্য ভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঐ দাবি বাতিল করে দেন। তারা মন্তব্য করেন যে ভোটগ্রহণ 'আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ' ছিল। আরো পড়তে পারেন: আমেরিকার নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে যা পেয়েছে বিবিসি ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার না করলে কী হতে পারে? নির্বাচনে কে বিজয়ী হয়েছেন, তা কখন জানা যাবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা র‍্যলি করেই যাচ্ছেন চীনের বার্তা দেয়া কী ইঙ্গিত করে? চীনের এই বার্তা থেকে বোঝা যায় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও চীনের নেতৃত্ব - বিশেষ করে দেশটির ক্ষমতাশালী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং - আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন এবং জানুয়ারি মাসে জো বাইডেনই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বলে মনে করে। এই বার্তা দেয়ার আগ পর্যন্ত চীনের সরকার বলে আসছিল যে জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করার বিষয়টি তাদের 'নজরে এসেছে।' বৃহস্পতিবার অভিনন্দন জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েনবিন বলেন: \"আমরা বুঝতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন আইন এবং পদ্ধতি অনুসরণ করেই হবে।\" বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার পাশাপাশি করোনাভাইরাসকে 'চীনা ভাইরাস' বা 'কুং ফ্লু' হিসেবে বেশ কয়েকবার উদ্ধৃত করার কারণেও দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। পশ্চিম চীনে মুসলিমদের গণহারে বন্দী করা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সেনা ঘাঁটি স্থাপন নিয়েও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। চীন কাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়, তা নিয়ে এবারের মার্কিন নির্বাচনের আগে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস ছিল, শি জিনপিং এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছে। শনিবার হোয়াইট হাউজে যান ট্রাম্প তবে বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান জুয়েতং মনে করেন, আরো চার বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকুক, চীন তাই চেয়েছিল। চীনের ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিবিসিকে নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, \"এমন নয় যে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প চীনের স্বার্থে কম আঘাত করবেন, ট্রাম্প নিশ্চিতভাবে বাইডেনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি ক্ষতি করবেন।\" চীনের প্রতি জো বাইডেনের নীতি কতটা পরিবর্তিত হবে তা এথনও পরিষ্কার না হলেও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন কৌশলগত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বাইডেনের চীন বিষয়ক নীতিতে। আর কোন্ কোন্ দেশ এখনও অভিনন্দন জানায়নি রাশিয়া মস্কোর পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে অভিনন্দন না যাওয়ার অর্থ দাঁড়ায় যে মস্কো নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ততটা উৎফুল্ল নয় - মন্তব্য করছেন মস্কোতে বিবিসি'র স্টিভ রোজেনবার্গ। মি. বাইডেন মস্কোর সমালোচক এবং সম্প্রতি তিনি এমন মন্তব্যও করেছেন যে রাশিয়া আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারোকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এতটাই কাছের মিত্র হিসেবে মনে করা হয় যে তাকে কখনো কখনো 'ক্রান্তীয় অঞ্চলের ট্রাম্প' হিসেবেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে। তাই ব্রাজিলের এই নেতা যে এখনও জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাননি, তাতে খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের গণমাধ্যম যখন জেয়ার বোলসোনারোকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে, তখন তার উত্তর ছিল: \"নির্বাচন কি এখনও শেষ হয়েছে?\" রবিবার ভার্জিনিয়ার ট্রাম্প ন্যাশনাল গলফ কোর্সে খেললেও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি ট্রাম্প মেক্সিকো মেক্সিকোর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল তৈরি করতে চাইলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডে��্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। গত রবিবার তিনি মন্তব্য করেন, \"আমরা হালকাভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই না। মেক্সিকোর দুই প্রার্থীর সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সব আইনি জটিলতা সমাধান হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো।\" উত্তর কোরিয়া মার্কিন নির্বাচনের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আর অথবা দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম কোনো মন্তব্য করেনি। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়া নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। মি. ট্রাম্পের সাথে কিম জং-আনের বেশ আক্রমণাত্মক সম্পর্ক থাকলেও দুই নেতার মধ্যে তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে। অন্যদিকে মি. বাইডেন কিম জং-আনের সাথে কোনো ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নন বলে এর আগে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতাও মি বাইডেনকে 'কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মূর্খ' বলে সমালোচনা করেছেন।", "doc2": "Le vote a été étroitement surveillé à l'étranger Au cours des quatre années de pouvoir de Donald Trump, la relation de l'Amérique avec le monde a profondément changé. Des journalistes de la BBC à travers le monde, de Pékin à Berlin, expliquent comment la nouvelle de la victoire de M. Biden est reçue et ce que cela pourrait signifier pour les relations clés avec les États-Unis. China La victoire de Joe Biden représente un autre défi pour le système chinois, écrit John Sudworth à Pékin. Vous pourriez penser que Pékin serait heureux de voir Donald Trump quitter le pouvoir. L'administration Trump a opposé à la Chine une guerre commerciale, a imposé une série de sanctions punitives, l'a harcelée et la a blâmée pour la pandémie de coronavirus. Mais certains analystes suggèrent que les dirigeants chinois se sentent secrètement déçus. Non pas parce qu'ils ont un penchant pour M. Trump, mais parce que quatre autres années de lui à la Maison Blanche pourrait offrir une perspective alléchante. Diviseur à l'intérieur, isolationniste à l'étranger, M. Trump représente pour Pékin l'incarnation même du déclin tant attendu et espéré du pouvoir américain. Les bulletins d'information télévisés (sous le contrôle du Parti communiste chinois) se sont concentrés non pas sur l'élection elle-même - mais sur les protestations, la rancune et la hausse des taux d'infection par le virus aux États-Unis. La Chine pourrait, bien sûr, essayer de tirer parti de la volonté de Joe Biden de rechercher une coopération sur de grandes questions telles que le changement climatique. Mais Joe Biden a également promis de travailler pour relancer la coopération des Etats-Unis avec l'extérieur, ce qui pourrait s'avérer beaucoup plus efficace pour contraindre les ambitions de superpuissance de la Chine que l'approche de Trump. Et une victoire de Biden offre un autre défi pour un système chinois dépourvu de contrôle démocratique. Loin d'un déclin des valeurs américaines, la transition du pouvoir elle-même est la preuve que ces valeurs perdurent. Inde Les racines de Kamala Harris sont une source de fierté en Inde, mais Narendra Modi pourrait recevoir un accueil plus glacial de la part de M. Biden par rapport à son prédécesseur, Rajini Vaidyanathan écrit de Delhi. L'Inde est depuis longtemps un partenaire important des États-Unis et l'orientation globale de ces relations ne changera probablement pas sous une présidence Biden. La nation la plus peuplée d'Asie du Sud restera un allié clé dans la stratégie indo-pacifique américaine visant à freiner la montée de la Chine et à lutter contre le terrorisme mondial. Lire aussi : Cela dit, la relation entre M. Biden et le Premier ministre indien Narendra Modi pourrait être plus difficile à saisir. M. Trump s'est abstenu de critiquer les politiques intérieures controversées de M. Modi - qui, selon beaucoup, discriminent les musulmans du pays. M. Biden a été beaucoup plus franc. Son site Web de campagne appelait à la restauration des droits de tous au Cachemire et critiquait le registre national des citoyens (NRC) et la loi d'amendement de la citoyenneté (CAA) - deux lois qui ont déclenché des manifestations de masse. La nouvelle vice-présidente Kamala Harris - à moitié indienne elle-même - s'est également prononcée contre certaines des politiques du gouvernement nationaliste hindou. Mais ses racines indiennes susciteront des célébrations de masse dans une grande partie du pays. Que la fille d'une Indienne née et élevée dans la ville de Chennai soit bientôt vice-présidente des Etats-Unis est un moment d'immense fierté nationale. Les deux Corées La Corée du Nord a un jour décrit M. Biden comme un «chien enragé» - mais maintenant Kim Jong-un fera des calculs minutieux avant d'essayer de provoquer le nouveau président américain, écrit Laura Bicker à Séoul. Il est probable que le président Kim aurait préféré quatre autres années de Donald Trump. La rencontre sans précédent entre les deux dirigeants a permis d'incroyables séances de photos pour les livres d'histoire, mais très peu de décisions importantes en sont sorties. Aucune des deux parties n'a obtenu ce qu'elle voulait de ces pourparlers: la Corée du Nord a continué à développer son arsenal nucléaire et les États-Unis ont continué d'appliquer des sanctions strictes. En revanche, Joe Biden a demandé à la Corée du Nord de montrer qu'elle est prête à abandonner son programme d'armes nucléaires avant toute rencontre entre lui et Kim Jong-un. De nombreux analystes estiment qu'à moins que l'équipe de M. Biden n'entame très tôt des pourparlers avec Pyongyang, les jours de «feu et de fureur» pourraient revenir. M. Kim voudra peut-être attirer l'attention de Washington avec un retour aux essais de missiles à longue portée, mais il ne voudra pas augmenter les tensions avec les Etats-Unis. Son pays déjà appauvri ne souhaite pas des sanctions supplémentaires. La Corée du Sud a déjà averti le Nord de ne pas s'engager dans une voie provocatrice. Séoul a peut-être eu du mal à traiter avec Donald Trump à certains moments - mais le président Moon tient à mettre fin à la guerre de 70 ans dans la péninsule coréenne et il a félicité M. Trump d'avoir eu le «courage» de rencontrer M. Kim. Le Sud surveillera de près tout signe indiquant que M. Biden est prêt à faire de même. Royaume-Uni La «relation spéciale» entre les États-Unis et le Royaume-Uni pourrait subir un déclassement avec Joe Biden au pouvoir, écrit la correspondante politique Jessica Parker à Londres. Ils ne seront pas considérés comme des alliés naturels: Joe Biden, le démocrate chevronné, et Boris Johnson, le Brexiteer explosif. En essayant de voir comment leur future relation pourrait fonctionner, il y a lieu de considérer le passé. Plus précisément cette année charnière, 2016, lorsque Donald Trump entre à la Maison Blanche et que le Royaume-Uni vote pour quitter l'UE. Joe Biden et son patron de l'époque, Barack Obama, n'ont pas caché qu'ils auraient préféré un autre résultat sur le Brexit. Les récentes manœuvres du gouvernement britannique concernant le Brexit ne se sont pas bien passées avec les démocrates et le lobby irlandais. Même le président élu américain. M. Biden a déclaré qu'il ne permettrait pas à la paix en Irlande du Nord de devenir une \"victime du Brexit\" s'il était élu - affirmant que tout futur accord commercial entre les États-Unis et le Royaume-Uni serait subordonné au respect de l'accord du Vendredi saint. Rappelez-vous comment Donald Trump a qualifié Boris Johnson de \"Britain Trump\"? Eh bien, M. Biden semble être d'accord, décrivant une fois le Premier ministre britannique comme le \"clone physique et émotionnel\" de M. Trump. Il est donc possible que Joe Biden soit au départ plus désireux de parler à Bruxelles, Berlin ou Paris qu'à Londres. La \"relation spéciale\" pourrait, dans la pratique, faire l'objet d'un déclassement. Cependant, les deux hommes peuvent encore trouver un terrain d'entente. Après tout, les deux pays qu'ils dirigent entretiennent des relations diplomatiques de longue date et profondes, notamment dans les domaines de la sécurité et du renseignement. Russie Une administration plus prévisible pourrait être plus intéressante pour la Russie, cela peut être le cas avec la victoire de M. Biden, écrit Steven Rosenberg à Moscou. Le Kremlin a un sens aigu de l'audition. Ainsi, lorsque Joe Biden a récemment qualifié la Russie de \"plus grande menace\" pour l'Amérique, il a été entendu haut et fort à Moscou. Le Kremlin a également une longue mémoire. En 2011, le vice-président Biden aurait déclaré que s'il était M. Poutine, il ne se présenterait pas à nouveau à la présidence: ce serait mauvais pour le pays et pour lui-même. Le président Poutine ne l'aura pas oublié. Les relations entre M. Biden et M. Poutine ne se jouent pas dans un paradis géopolitique. Moscou craint que la présidence de Biden n'entraîne davantage de pression et de sanctions de la part de Washington. Avec un démocrate à la Maison Blanche, pourrait-il être temps de récupérer l'intervention présumée de la Russie lors des élections américaines de 2016? Un journal russe a récemment affirmé que sous M. Trump, les relations américano-russes avaient plongé \"dans les fonds marins\". Il a comparé M. Biden à quelqu'un qui allait «creuser encore plus». Il n'est pas étonnant que Moscou ait ce sentiment de naufrage. Mais pour le Kremlin, il pourrait y avoir une lueur d'espoir. Les commentateurs russes prédisent qu'une administration Biden sera, au moins, plus prévisible que l'équipe Trump. Cela pourrait faciliter la conclusion d'un accord sur des questions urgentes, comme New Start - le traité crucial de réduction des armements nucléaires entre les États-Unis et la Russie qui expire en février prochain. Moscou voudra sortir de l'ère Trump et essayer de construire une relation de travail avec la nouvelle Maison Blanche. Il n'y a aucune garantie de succès. Allemagne Les Allemands espèrent un retour à la normale avec leur allié clé une fois que Donald Trump sera parti, écrit Damien McGuinness à Berlin. L'Allemagne pousse un soupir de soulagement en réaction à un tel résultat. Lire aussi : Seulement 10% des Allemands font confiance au président Trump en matière de politique étrangère, selon le Pew Research Center. Il est plus impopulaire en Allemagne que dans tout autre pays sondé. Même le Russe Poutine et le Chinois Xi Jinping sont mieux apprécié en Allemagne. Le président Trump est accusé de saper le libre-échange et de démanteler les institutions multinationales sur lesquelles l'Allemagne compte économiquement. Ses disputes avec la Chine ont ébranlé les exportateurs allemands et il a une relation notoirement médiocre avec la chancelière Angela Merkel - il est difficile d'imaginer deux dirigeants plus différents dans leur éthos et leur personnalité. Les politiciens et les électeurs allemands ont été choqués par son style, son approche non conventionnelle des faits et ses attaques fréquentes contre l'industrie automobile allemande. La relation transatlantique est essentielle pour la sécurité européenne Malgré cela, les États-Unis sont le plus grand partenaire commercial de l'Allemagne et les relations transatlantiques sont essentielles pour la sécurité européenne. La présidence Trump a donc été une aventure difficile. Les ministres allemands ont critiqué les appels du président Trump à l'arrêt du dépouillement et ses allégations non fondées de fraude électorale. La ministre de la Défense Annegret Kramp-Karrenbauer a qualifié la situation d '\"explosive\". On est conscient ici que les différences politiques majeures entre Washington et Berlin ne disparaîtront pas sous une présidence Biden. Mais Berlin a hâte de travailler avec un président qui valorise la coopération multilatérale. Iran Une victoire de Biden pourrait ramener Téhéran à la table des négociations, écrit Kasra Naji, correspondante de BBC Persian Service. Dans les semaines qui ont précédé les élections américaines, le président Trump a déclaré avec un certain optimisme qu'une fois réélu, le premier appel téléphonique qu'il recevait proviendrait des dirigeants iraniens demandant à négocier. Cet appel téléphonique à M. Trump - s'il avait gagné - n'allait jamais se produire. Négocier avec l'administration Trump aurait été impossible pour l'Iran; ce serait trop humiliant. Sous le président Trump, les sanctions américaines et une politique de pression maximale ont laissé l'Iran au bord de l'effondrement économique. M. Trump s'est retiré de l'accord nucléaire. Pire encore, il a ordonné l'assassinat du général Qasem Soleimani, un ami proche du guide suprême l'ayatollah Ali Khamenei. Venger son meurtre reste en tête et à l'ordre du jour des extrémistes. L'élection de Joe Biden faciliterait beaucoup une ouverture de négociations avec l'administration américaine pour l'Iran. Le président élu Biden a dit qu'il voulait utiliser la diplomatie et revenir à l'accord nucléaire avec l'Iran. Mais les extrémistes iraniens ne viendront pas facilement à la table. Alors que les Américains se rendaient aux urnes le 3 novembre, le guide suprême a affirmé que les élections n'auraient «aucun effet» sur la politique de Téhéran. \"L'Iran a suivi une politique raisonnable et calculée qui ne peut pas être affectée par les changements de personnalités à Washington\", a-t-il déclaré. Des millions d'Iraniens ont pensé différemment alors qu'ils regardaient tranquillement les élections américaines sur leurs écrans de télévision par satellite (illégalement), convaincus que leur avenir dépend des résultats et espérant qu'une victoire de Biden verrait les sanctions assouplies. Israel On s'attend à une réinitialisation d'une grande partie de la politique de Donald Trump au Moyen-Orient, écrit Tom Bateman à Jérusalem. Le président Trump a suralimenté les deux pôles du Moyen-Orient. Il a cherché à récompenser et à consolider les alliés régionaux traditionnels de l'Amérique, tout en isolant ses adversaires de Téhéran. Le président élu Biden tentera de rétablir la politique américaine au Moyen-Orient comme il l'avait laissée quand il était vice-président sous Barack Obama: assouplir la campagne de «pression maximale» de M. Trump sur l'Iran et revenir à l'accord nucléaire de 2015 abandonné par le Maison Blanche il y a deux ans. Cette perspective horrifie Israël et les pays du Golfe comme l'Arabie saoudite et les Émirats arabes unis. Un ministre israélien a déclaré en réponse à la victoire probable de M. Biden que la politique se terminerait par \"une violente confrontation israélo-iranienne, car nous serons contraints d'agir\". Le résultat modifie également radicalement l'approche américaine du conflit israélo-palestinien. Le plan de M. Trump a été considéré comme fortement favorable à Israël et lui donnant la possibilité d'annexer des parties de la Cisjordanie occupée. Cette politique a été mise de côté au profit d'accords historiques visant à établir des liens entre Israël et plusieurs États arabes. Cette tendance à la «normalisation» régionale est susceptible de se poursuivre sous M. Biden, mais il pourrait essayer de ralentir les ventes controversées d'armes américaines dans le Golfe et chercherait probablement plus de concessions de la part d'Israel. L'annexion semble désormais définitivement hors de propos et M. Biden s'opposera également à la poursuite de la construction de colonies israéliennes. Mais il n'y aura pas le \"demi-tour complet\" exigé par un officiel palestinien cette semaine. La rhétorique reviendra à la conception traditionnelle d'une «solution à deux États», mais les chances de faire beaucoup de progrès dans le processus de paix moribond israélo-palestinien semblent minces. Lire aussi : Egypte Les militants des droits de l'homme espèrent beaucoup que l'administration Biden augmentera la pression sur l'Égypte au sujet des droits de l'homme, écrit Sally Nabil au Caire. Le président égyptien, soutenu par l'armée, Abdul Fattah al-Sissi entretenait de très bonnes relations avec Donald Trump. Il aurait été préférable pour lui de garder un ami à la Maison Blanche, mais il va maintenant devoir commencer un nouveau chapitre avec Joe Biden. Les critiques du président Sissi ont accusé l'administration Trump de fermer les yeux sur ses présumées violations des droits humains. L'Égypte reçoit 1,3 milliard de dollars d'aide militaire américaine par an. En 2017, une petite tranche de cette aide a été suspendue pour non respect des droits humains mais a été débloquée l'année suivante. Joe Biden entrant à la Maison Blanche est considéré en Egypte comme une bonne nouvelle par de nombreux groupes de défense des droits humains. Les militants espèrent que la nouvelle administration américaine fera pression sur le gouvernement égyptien pour qu'il change sa politique autoritaire envers l'opposition - avec \"des dizaines de milliers de prisonniers politiques\" selon les défenseurs des droits de l'homme. Les autorités égyptiennes ont toujours nié l'existence de prisonniers d'opinion dans le pays, contestant la crédibilité des rapports critiques sur les droits de l'homme. «Les relations américano-égyptiennes ont toujours été stratégiques, quel que soit celui qui occupe le bureau ovale», déclare Ahmed Sayyed Ahmed, analyste politique. \"Le partenariat se poursuivra, mais la rhétorique des démocrates sur les droits de l'homme pourrait ne pas être bien accueillie par certains Egyptiens, qui y voient une ingérence dans les affaires de leur pays.\" Cuba Après des sanctions sévères, la victoire de Joe Biden apporte un soulagement, écrit Will Grant, correspondant de la BBC à Cuba. Une présidence Biden est exactement ce que la plupart des Cubains espéraient. En effet, la majorité des habitants de l'île verraient avec plaisir presque tout le monde à la Maison Blanche sauf Donald Trump. Ses sanctions ont entraîné de réelles difficultés et les Cubains sont épuisés après quatre ans d'hostilité incessante. Joe Biden, de son côté, ravive les souvenirs du récent point culminant des relations cubano-américaines sous le président Obama. En fait, l'ancien vice-président aurait contribué à rendre les deux années de détente possibles. Le gouvernement communiste de La Havane continuera sans aucun doute à dire que tous les présidents américains sont essentiellement ''coupés du même tissu''. Mais parmi les gens qui font la queue pour les produits de base et qui luttent pour joindre les deux bouts, le sentiment dominant sera néanmoins un grand soulagement. Le seul inconvénient du point de vue cubain. M. Biden est maintenant bien conscient de la façon dont le traitement dur du président Trump à Cuba a été positif pour les électeurs dans l'Etat clé de la Floride. Les cubains craignent qu'il ne soit beaucoup moins enclin à assouplir certaines des mesures prises par M. Trump. Canada Justin Trudeau verra un allié en son nouveau voisin, écrit Jessica Murphy à Toronto. Le Premier ministre canadien s'est engagé à approfondir les relations avec les États-Unis, quel que soit le vainqueur de l'élection présidentielle - mais il est probable qu'un soulagement a été ressenti à Ottawa lorsqu'il est devenu clair que le démocrate Joe Biden avait remporté la victoire. Les relations du Canada avec les États-Unis ont été difficiles sous le président Trump, mais il y a eu des réalisations. Il s'agit notamment de la renégociation réussie de l'Accord de libre-échange nord-américain, avec le Mexique. Mais Justin Trudeau a clairement indiqué qu'il ressentait une parenté politique avec l'ancien président Barack Obama - qui l'a soutenu lors des récentes élections fédérales canadiennes. Ce sentiment de chaleur s'étend à l'homme qui a été vice-président de M. Obama - Joe Biden. En M. Biden, le Parti libéral de M. Trudeau trouvera un allié sur des questions comme le changement climatique et le multilatéralisme. Mais cela ne veut pas dire qu'il n'y a pas d'opportunités de friction avec son administration. Le président Trump a autorisé la construction de l'oléoduc Alberta-Texas Keystone XL, un projet considéré comme essentiel pour le secteur énergétique en difficulté du Canada - mais le président élu Biden s'oppose au projet. Et le plan économique «Buy American» de Joe Biden pour relancer l'industrie américaine après la pandémie de coronavirus sera une préoccupation étant donné la profonde dépendance du Canada à l'égard du commerce avec les États-Unis."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55155241", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55145950", "doc1": "ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হবে। এর মধ্যেই চার কোটি টিকার জন্য চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা দিয়ে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। জনপ্রতি দুইটি করে ডোজ দেয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি এক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া যাবে। টিকা যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া শেষ করা হলো। বিবিসি বাংলার আরো খবর: করোনাভাইরাস ঠেকাতে ৯০% সফল যে টিকা, বলা হচ্ছে 'মাইলফলক' ঘটনা ভারতে ভ্যাকসিন মিলবে হাজার রুপিতে, বাংলাদেশে কত দাম হবে? রোগ প্রতিষেধক টিকা নিয়ে কেন এত শঙ্কা বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? করোনা ভাইরাস: টিকা উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেয়া তুর্কী বংশোদ্ভূত জার্মান মুসলিম দম্পতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে পালন করতে হবে। এর মানে হলো, এখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা গিলেই পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে�� এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি। সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল। এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়। আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরও একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়। তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ট্রাম্পেরই এক মিত্র বললেন, 'ফল পাল্টে দেয়ার মতো জালিয়াতি হয়নি' বিনিয়োগের বদলে নাগরিকত্ব: কোন দেশে বেশি যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা? নিজ সন্তানকে ৩০ বছর ফ্ল্যাটে বন্দী রাখার সন্দেহে মা আটক ফ্রান্সের ইমাম ও মুসলিমরা ফরাসী মূল্যবোধের সনদ নিয়ে কতটা চাপে", "doc2": "Le régulateur britannique, la MHRA, déclare que le vaccin, qui offre une protection à 95 % contre la maladie de Covid-19, peut être lancé sans danger la semaine prochaine. Les vaccinations pourraient commencer dans les jours qui viennent pour les personnes appartenant aux groupes prioritaires. Le Royaume-Uni a déjà commandé 40 millions de doses, soit assez pour vacciner 20 millions de personnes, avec deux injections chacune. Environ 10 millions de doses devraient être disponibles prochainement, les premières doses doivent arriver au Royaume-Uni dans les prochains jours. Il s'agit du vaccin conçu le plus rapidement jamais mis au point pour passer du concept à la réalité. Il n'a fallu que dix mois pour suivre les mêmes étapes de développement qui s'étendent normalement sur une décennie. Le ministre de la Santé Matt Hancock annonce sur Twitter : \"L'aide est en route. Le NHS est prêt à commencer à vacciner au début de la semaine prochaine\". Lire aussi Bien que la vaccination puisse commencer, les gens doivent rester vigilants et suivre les règles relatives aux coronavirus pour arrêter la propagation, selon les experts. Cela signifie qu'il faut s'en tenir à la distanciation sociale et aux masques faciaux, et tester les personnes susceptibles d'avoir le virus et leur demander de l'isoler. Qu'est-ce que le vaccin ? Il s'agit d'un nouveau type de vaccin appelé ARNm qui utilise un minuscule fragment du code génétique du virus du Covid-19 pour apprendre à l'organisme comment combattre le Covid-19 et renforcer l'immunité. L'utilisation d'un vaccin à ARNm chez l'homme n'a jamais été approuvée auparavant, bien que des personnes en aient reçu lors d'essais cliniques. Le vaccin doit être stocké à environ -70C et transporté dans des boîtes spéciales, emballées dans de la glace sèche. Une fois livré, il peut être conservé jusqu'à cinq jours au réfrigérateur. Qui sera vacciné et quand? Les experts ont établi une liste provisoire de priorités, ciblant les personnes les plus à risque. En tête de liste figurent les résidents et le personnel des maisons de soins, suivis par les personnes de plus de 80 ans et les autres travailleurs sociaux et de santé. Ils recevront les premiers stocks de vaccins, dont certains dès la semaine prochaine. La vaccination de masse des personnes de plus de 50 ans, ainsi que des personnes plus jeunes présentant des problèmes de santé préexistants, peut avoir lieu à mesure que les stocks deviendront plus importants en 2021. Le vaccin est administré en deux injections, à 21 jours d'intervalle, la deuxième dose étant un rappel. Qu'en est-il des autres vaccins Covid ? Il existe d'autres vaccins prometteurs qui pourraient également être approuvés prochainement. L'un d'entre eux, le Moderna, utilise la même approche de l'ARNm que le vaccin Pfizer et offre une protection similaire. Le Royaume-Uni a pré-commandé des doses de 7 millions de doses qui pourraient être prêtes au printemps. Le Royaume-Uni a commandé 100 millions de doses d'un autre type de vaccin Covid à l'université d'Oxford et à AstraZeneca. Ce vaccin utilise un virus inoffensif, modifié pour ressembler beaucoup plus au virus qui provoque le Covid-19. La Russie utilise un autre vaccin, appelé Spoutnik, et l'armée chinoise en a approuvé un autre, fabriqué par CanSino Biologics. Tous deux fonctionnent de manière similaire au vaccin d'Oxford."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50681195", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-43939743", "doc1": "লোকসভায় অনুমোদনের পরই আসামে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিলো। বিলটির মূল উদ্দেশ্য হল সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া। আইনটির নাম নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬। এটি ভারতের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অনুমোদনের পরই ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে আসামে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা বলছে, এই আইন মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের প্রতি 'পক্ষপাতমূলক'। কী আছে এই আইনে? ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। এতে বলা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ সহ আরও কিছু অমুসলিম ধর্মাবলম্বীরা, যারা নিজের দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তারা যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকে, তবে তারা এই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত। এসব সম্প্রদায়ের মানুষজন ভারতে ছয় বছর বসবাসের পর সেখানকার নাগরিকত্ব পাবেন যা আগে ছিল এগারো বছর। তাদের কোন কাগজপত্র না থাকলেও চলবে। অনেকে মনে করেন আইনটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের আগে এখনকার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বিলটি পার্লামেন্টের একটি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এর পর গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের লোকসভায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। যে কারণে বিলটি নিয়ে এত বিরোধিতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জাতি ভিত্তি�� সংস্থা এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা মনে করে এসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিলে সেটি স্থানীয় মানুষদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আশঙ্কা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। আরো পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলে সায় ভারতের মন্ত্রিসভার, কী আছে এতে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিল ভারত আসাম এনআরসি: বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ কতটা? আসাম ভিত্তিক দ্য সেন্টিনাল খবরের কাগজে লেখা হয়েছিলে যে, এই আইনের কারণে ভারতের অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশি প্রভাব পড়বে। এই বছর জানুয়ারি মাসে একটি সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'অতীতে সংগঠিত নানা ধরনের অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত' হিসেবে তার সরকার বিলটি পাশ করতে বদ্ধ পরিকর। এনআরসি নিয়েও বিক্ষোভ হয়েছে ভারতে। সেখানে লেখা হয়েছিলো, \"বছরের পর বছর ধরে অন্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা বেশিরভাগই আসামে বসতি স্থাপন করেছে\"। এই বিল নিয়ে মতবিরোধের কারণে আসামে বিজেপি'র মৈত্রী সংগঠন 'আসাম পিপলস পার্টি' জোট সরকার ত্যাগ করেছে। প্রতিবাদ হিসেবে আরও পদত্যাগ করেছিলেন আসামে বিজেপি'র মুখপাত্র মেহদি আলম বোড়া। আরো পড়ুন: আবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করছে মানুষ এনআরসি নিয়ে অমিত শাহকে কী বললেন মমতা? এনডিটিভিকে তিনি বলেছিলেন, \"বিলটি আসামের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য সংকট ডেকে আনবে এবং আসাম চুক্তিকে অকার্যকর করতে দেবে।\" ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিতে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বিদেশী নাগরিক সেখানে প্রবেশ করেছে তাদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা আছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসামের দৈনিক গৌহাটি অসমীয়া প্রতিদিন কাগজে লেখা হয়েছিলো. \"নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনী পাশ হলে আসাম চুক্তি পুরোপুরি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।\" বিলটির প্রতিবাদ করে আসছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন, 'নর্থ ইষ্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন'। তাদের নেতা প্রিতমবাই, সোনাম সেন্টিনাল কাগজকে বলেছিলেন, \"বিলটি আদিবাসীদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।\" ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস সহ বেশিরভাগ বিরোধীদল মনে করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিলে তা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভীতকে দুর্বল করবে। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আশংকা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পরবে। কংগ্রেস মনে করে এই আইনের কারণে সম্প্রতি হালনাগাদ করা 'ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (এনআরসি)' অকার্যকর হয়ে যাবে। আসামে মাস দুয়েক হল নাগরিকদের তালিকা করা হয়েছে, তাতে বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি বাসিন্দা। এনআরসি কিভাবে অকার্যকর হবে? ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বাংলাদেশি আসামে প্রবেশ করেছেন তাদের চিহ্নিত করার জন্য সেখানে এনআরসি হালনাগাদ করা হয়েছে। যা এর আগে সর্বশেষ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে। বর্তমানে এনআরসি যেভাবে কাজ করে তা হল সেটি ধর্মের ভিত্তিতে অভিবাসীদের আলাদা করে না। এনআরসি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানোর নিয়ম, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। সেক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ক সংশোধনী আইন ও এনআরসি সাংঘর্ষিক হবে। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের আর ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার আওতায় পরতে হবে না। কারণ সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমদের জন্য। অন্যান্য খবর: হজ কোটা বিভিন্ন দেশের জন্য যেভাবে নির্ধারিত হয় যেভাবে বোতল-বন্দি হলো 'জ্বীনের বাদশাহ্‌' পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছে ভারতেও", "doc2": "Le président mauritanien Mohamed Ould Abdel Aziz Selon les nouvelles dispositions, est considéré comme apostat celui qui commet un outrage contre Allah, ses anges, ses Prophètes et ses livres. Ce dernier sera puni de la peine de mort et, même s'il se repent, il écopera d'une amende allant de 50.000 à 600.000 ouguiyas, soit de 75 000 à 905 000 francs CFA. Le texte abrogé stipule : '' tout musulman coupable de crime d'apostasie, soit par parole soit par action de façon apparente ou évidente, sera invité à se repentir dans un délai de trois jours. S'il ne se repent pas dans ce délai, il est condamné à mort en tant qu'apostat et ses biens seront confisqués au profit du trésor public. S'il se repent avant l'exécution de cette sentence, le Parquet saisira la Cour suprême, à l'effet de sa réhabilitation dans tous ses droits\". Les autorités mauritaniennes expliquent cette révision par le fait que les anciennes dispositions se sont avérées en contradiction avec ''la doctrine malikite'' qui est celle de l'Etat mauritanien."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54273727", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54310610", "doc1": "ইয়েমেনে ইউএই সমর্থিত একজন মিলিশিয়া। পাশের দেয়ালে আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি। এ বছর মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে তারা। বিতর্কের তোয়াক্কা না করে আরবদের চিরশত্রু ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছে। যেভাবে করোনাভাইরাস সামলেছে, তা নিয়েও প্রশংসিত হচ্ছে দেশটি। শুধু যে সংক্রমণ দ্রুত আটকেছে তা-ই নয়, কারখানায় রাতারাতি উপযুক্ত যন্ত্র বসিয়ে সংক্রমণ নিরোধক পোশাক (পিপি���) তৈরি করে বিমান ভরে ভরে তা অন্য দেশে পাঠিয়েছে। সেই সাথে, ইয়েমেনে ইরানের প্রভাব এবং সোমালিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের প্রভাব খর্ব করতে ওই দেশগুলোর গৃহযুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে পেছপা হয়নি ইউএই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক নীতি যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক এবং বিশ্লেষকদের বিশেষ দৃষ্টি কাড়ছে, তাতে সন্দেহ নেই। ইসরায়েলের সাথে চুক্তিকে ট্রাম্প বললেন 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর' ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. নায়েল শামা সম্প্রতি রয়টারস বার্তা সংস্থায় তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ক্ষুদ্র জনসংখ্যার ছোট যে উপসাগরীয় দেশটির বিশ্ব পরিসরে বলার মত তেমন কোনো ভূমিকাই ছিল না, সেই দেশটির ‘বিশাল উচ্চাভিলাষ‘ নিয়ে গভীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। লক্ষ্য কী তাদের? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তাদের এই উচ্চাভিলাষ? এ প্রসঙ্গে বিবিসি'র প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার তার এক রিপোর্টে ২১ বছর আগের কসোভো যুদ্ধ চলার সময় তার এক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেছেন। ‘১৯৯৯ সালের মে মাস তখন। কসোভোর যুদ্ধ এক বছর গড়িয়েছে। আলবেনিয়া-কসোভো সীমান্তে একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির স্থাপন করেছে আমিরাত রেড ক্রিসেন্ট। ওই শিবিরে তারাই দুবাই-আবুধাবি থেকে রান্নার লোক, হালাল মাংসের জন্য কসাই, টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি একজন ইমামও উড়িয়ে নিয়ে এসেছে। আমিরাতের সৈন্যরাই ভারী অস্ত্র, সাঁজোয়া যান নিয়ে শিবির টহল দিচ্ছে।‘ আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা থেকে আগের দিন যে হেলিকপ্টারে করে বিবিসির ওই সংবাদদাতা সীমান্তের শিবিরটিতে আসেন, তার চালক ছিলেন আমিরাতের বিমান বাহিনীর এক পাইলট। “শিবিরের বাথরুমে পাশের বেসিনে লম্বা, দাড়িওয়ালা যিনি দাঁত ব্রাশ করছিলেন, তাকে সাথে সাথেই চিনতে পারলাম। তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (দেশটির বর্তমান যুবরাজ)। ব্রিটিশ রয়াল মিলিটারি একাডেমীর স্নাতক। তখন থেকে তিনিই তার দেশের সামরিক ভূমিকা বাড়ানোর পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।“ খুব ইচ্ছা না থাকলেও বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শেখ মোহাম্মদ। তিনি জানিয়েছিলেন, ফ্রান্সের সাথে তারা একটি সামরিক কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ৪০০ ফরাসী ট্যাংক কিনবে ইউএই। বদলে, ফরাসীরা আমিরাত সে��াবাহিনীর একটি ব্রিগেডকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফরাসী সৈন্যদের সাথে কসোভোতে মোতায়েন করবে।। “যে দেশটির তখনও স্বাধীনতার ৩০ বছর হয়নি, তাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই সাহসী ছিল,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ইউএই বিমান বাহিনীর মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান আবুধাবি থেকে কসোভোর দূরত্ব ২,০০০ মাইল। এত দূরে ছোট একটি উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের এই সামরিক উচ্চাভিলাষে বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। কসোভোর পরই আফগানিস্তান ইউএই ছিল প্রথম কোনো আরব দেশে যারা নেটো বাহিনীর সমর্থনে ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছিল। এরপর আসে আফগানিস্তান। তালেবানের পতনের পরপরই আমিরাতি সৈন্যরা যে নেটো বাহিনীর সঙ্গী হয়, তা অনেকদিন পর্যন্ত বাকি বিশ্ব তেমন জানতোই না। আমিরাতিরা তখন আফগানিস্তানে স্কুল করে দিয়েছে, মসজিদ বানিয়েছে, খাবার পানির জন্য কুয়ো খুঁড়ে দিয়েছে। “আফগানিস্তানে আমিরাতের তেমন বড় কোনা সামরিক ভূমিকা ছিল না। কিন্তু তারা টাকা-পয়সা এবং ধর্মকে কাজে লাগিয়ে নেটো সৈন্যদের প্রতি স্থানীয় মানুষজনের ক্রোধ-সন্দেহ অনেকটাই প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ‘ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক‘ মাত্র এক কোটি মানুষের ছোট একটি দেশের মধ্যে এই সামরিক অভিলাষ দেখে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাতিস ইউএইর নাম দিয়েছিলেন ‘লিটল স্পার্টা‘ বা ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক। তারপর গত ২০ বছরে, বিশেষ করে গত এক দশকে, ইউএই'র রাজনৈতিক এবং সামরিক অভিলাষের ডানা অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক একটি ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় সামরিক শক্তি হয়ে উঠেছে ইউএই। আরব বসন্তের টালমাটাল অবস্থার পরপরই ইউএই মধ্যপ্রাচ্যের নানা জায়গায় প্রকাশ্যে মাথা গলাতে শুরু করে। এখন লোহিত সাগর অঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকাতেও তাদের ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সমঝোতা: 'আমাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে' ড. নায়েল শামা লিখেছেন, হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ইউএই অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে। প্রধানত আর্থিক সুযোগ সুবিধে দিয়ে তারা কিছু দেশে ‘কিংমেকার‘ হয়েছে, অর্থাৎ তাদের পছন্দমত সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। আবার অনেক জায়গায় ‘পিসমেকারের‘ ভূমিকা নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি ইথিওপিয়া এবং এরিত্রিয়ার মধ্যে দুই দশকের বিরোধ ঘোচানোর ���েছনে ইউএই'র বড় ধরণের ভূমিকা ছিল। একই সাথে, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে লোহিত সাগর এলাকার অর্থাৎ মিশর, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সৌদি আরবের চারটি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ইউএই সরকারের দুবাই-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তানে ইউএই স্পেশাল ফোর্স ইয়েমেন, এরিত্রিয়া এবং সোমালিল্যান্ডে ছোটোখাটো সামরিক ঘাঁটিও স্থাপন করেছে ইউএই। তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা এখন আর চেপে রাখতেও চাইছে না ইউএই। এক সাক্ষাৎকারে আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস বিবিসিকে বলেন, “আমরা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হতে চাই। বিশ্বে ভূমিকা রাখতে চাই।“ তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য \"ঝুঁকি নিতে হলেও আমরা তা নেব।\" অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, আরব এবং মুসলিম বিশ্বের বিরাট একটি অংশের রক্তচক্ষুকে পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পিছেনে আমিরাতের অন্যতম উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং গোয়েন্দা প্রযুক্তি জোগাড় করা। কেন এই আকাঙ্ক্ষা কিন্তু যেখানে তারা নিজেরাই এক ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছে, তারপরও ক্ষুদ্র এই রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও তাদের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে শুরু করেছে? অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই উচ্চাভিলাষের পিছেনে মূল তাড়না একটি - ‘রাজনৈতিক ইসলামের‘ ব্যাপারে আমিরাত শাসকদের, বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের, চরম বিরাগ এবং ভীতি। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে আরব বিশ্ব, কতটা রয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য আবেগ-সমর্থন সে কারণেই ইউএই মিশরে ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মোরসি সরকারের বিরুদ্ধে সেনাঅভ্যুত্থানে মদত দিয়েছে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত সরকারকে মেনে নিলেও ইউএই তাদের সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। লিবিয়ায় তারা জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারকে উৎখাতে মিলিশিয়া নেতা খলিফা হাফতারকে সাহায্য করছে। কাতারের বিরুদ্ধে ইউএই‘র প্রধান অভিযোগ যে তারা মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামপন্থীদের সাহায্য করছে। আর মূলত সে কারণেই কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধে তারা সৌদি আরবের সঙ্গী হয়। ড. নায়েল শামা মনে করেন, ইসলামী জঙ্গিবাদকে ইউএই'র শাসকরা অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে, এবং পূর্ব আফ্রিকায় তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক তৎপরতার প্রধান ল��্ষ্যই হলো এই ইসলামী জঙ্গিবাদ দমন। এ বছরই মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে আরব আমিরাত পূর্ব আফ্রিকায় ইউএই'র প্রধান প্রধান টার্গেট হলো বোসাও-ভিত্তিক আল ইত্তেহাদ আল-ইসলামী, এরিত্রিয়ার ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট, সুদানের তাকফির ওয়াল হিজরা এবং সোমালিয়ার আল-শাবাব। তুরস্কের সাথে টক্কর এমন কি তুরস্কের এরদোয়ান সরকারের সাথে টক্কর দিতে পিছপা হচ্ছে না ইউএই। এ মাসেই তারা গ্রীসের ক্রিট দ্বীপে গ্রীক সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ভূমধ্যসাগরের জ্বালানি অনুসন্ধানের অধিকার নিয়ে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে যখন তীব্র উত্তেজনা চলছে, সেই সময়ে গ্রীসের সাথে এই যৌথ সামরিক মহড়াকে তুরস্ক উস্কানি হিসাবেই দেখছে। সামলাতে পারবে ইউএই? তবে ইউএই খুব দ্রুত এগুতে চাইছে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল স্টিভেন্স বিবিসিকে বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই ইউএই এখন আরব বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী সামরিক শক্তি। তারা যেভাবে যত দ্রুত দেশের বাইরে সেনা মোতায়েন করতে পারে, সেটা অন্য কোনো আরব দেশ এখনও চিন্তাই করতে পারে না।“ কিন্তু, তিনি বলেন, দেশটি খুবই ছোট এবং সক্ষমতারও অনেক ঘাটতি রয়েছে। “ফলে এক সাথে অনেক সমস্যায় হাত দিলে তারা ঝুঁকিতে পড়বে, এবং দীর্ঘমেয়াদে হিতে বিপরীত হতে পারে।“ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষকে ইউএই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে। আর সে কারণেই, ইরান বিরোধী জোটে অবস্থান নিয়েও ইউএই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ইরানের সাথে সরাসরি কোনো বিরোধে জড়াতে অনিচ্ছুক। তাদের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বিদেশীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে যে সুনাম তারা প্রতিষ্ঠা করেছে, তাতে নিজের ওপর সংঘাতের যেকোন আঁচের সম্ভাবনা নিয়েও শঙ্কিত ইউএই। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও যুদ্ধ হলে সংঘর্ষের সম্ভাব্য কেন্দ্র হবে যে এলাকা, সেই হরমুজ প্রণালীর সাথেই আমিরাতের উপকূল। ইয়েমেনে ত্রাণ বিতরণ করছে আমিরাতের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এলিজাবেথ ডিকিনসন সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে বলেন, “তাদের এলাকায় স্থিতিশী���তা রক্ষার বিষয়ে ইউএই'র বিরাট স্বার্থ রয়েছে। তাদের অবকাঠামোর ওপর কোনও হুমকি তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। অঞ্চলটির সবচেয়ে শক্ত অর্থনীতি বলে তাদের যে সুনাম, যে আস্থা, তা ধসে পড়বে।“ ইউএই'তে বাস করা মানুষের ৯০ শতাংশই বিদেশী। তারাই দেশটির সব ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ এবং দেখাশোনা করে। অনিরাপত্তার কারণে বিদেশীরা চলে যেতে শুরু করলে ইউএই অচল হয়ে পড়বে। সে কারণেই ইরানের সরাসরি সমালোচনা থেকে বিরত থাকে ইউএই। গত বছর জুনে যখন ইউএই'র উপকূলের কাছে সৌদি একটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ হয়, তখনও তারা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে গলা মিলিয়ে ইরানকে দায়ী করতে রাজী হয়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র যখন পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠায়, ঠিক সেই সময়ে হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে ইউএই তেহরানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়, যে পদক্ষেপ মার্কিনীরা পছন্দ করেনি। অব্যাহত যুদ্ধে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার মত আরব বিশ্বের এক সময়কার বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর দুর্বলতায় মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণে তৎপর হয়েছে ইউএই। নিজেদের অসামান্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ইরান নিয়ে ভীতি, জঙ্গি ইসলাম নিয়ে উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভূ-রাজনৈতিক নীতির কারণেও ইউএই'র মধ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা দিনকে দিন বাড়ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যে সাতটি দেশে এখন বাংলাদেশি কর্মীরা সবচেয়ে বেশি যায় বায়োফ্লক: নতুন যে পদ্ধতি বাংলাদেশে দ্রুত বাড়াতে পারে মাছের উৎপাদন কীভাবে একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়", "doc2": "Un combattant yéménite à côté d'une peinture murale du défunt fondateur des Émirats arabes unis, le cheikh Zayed Al Nahyan Ils ont envoyé une mission sur Mars, conclu un accord de paix historique avec Israël et ont réussi à prendre suffisamment d'avance sur Covid-19 pour que l'ancien protectorat britannique réouvre ses usines et envoie des équipements de protection individuelle (EPI) au Royaume-Uni par avion. Il s'est également retrouvé impliqué dans une coûteuse lutte stratégique d'influence avec la Turquie alors qu'il étend ses tentacules jusqu'en Libye, au Yémen et en Somalie. Alors que l'année prochaine marquera le 50e anniversaire de l'indépendance des EAU, quel est exactement le jeu mondial des EAU et qui le dirige ? A lire aussi Un accord historique entre les Emirats arabes unis et Israël Les Émirats arabes unis impliqués dans l'attaque d'un drone en Libye Le gouvernement libyen critique les Emirats arabes unis Rencontre fortuite Nous sommes en mai 1999 et la guerre du Kosovo fait rage depuis plus d'un an. Je suis devant un lavabo dans une cabane de fortune dans un camp bien défendu à la frontière entre l'Albanie et le Kosovo, un endroit rempli de réfugiés kosovars. Le camp a été mis en place par la Société du Croissant Rouge des Emirats et les Emiratis sont arrivés avec une coterie complète de cuisiniers, de bouchers halal, d'ingénieurs en télécommunications, un imam et un contingent de troupes qui patrouillent le périmètre dans des Humvees de camouflage du désert montés avec des mitrailleuses lourdes. La veille, nous avions décollé de Tirana à bord d'hélicoptères Puma pilotés par des pilotes de l'armée de l'air des EAU à travers les ravins sinueux et accidentés du nord-est de l'Albanie. Les EAU ont créé un camp pour les Kosovars déplacés à la frontière entre le Kosovo et l'Albanie à la fin des années 1990 L'homme qui se brosse les dents dans le bassin à côté de moi est grand, barbu, à lunettes. Je le reconnais comme étant le cheikh Mohammed bin Zayed, diplômé de l'Académie militaire royale britannique de Sandhurst et force motrice de l'expansion du rôle militaire des EAU. Pourrions-nous faire une interview télévisée, je demande ? Il n'est pas très enthousiaste, mais il est d'accord. Les EAU, explique-t-il, ont conclu un partenariat stratégique avec la France. Dans le cadre d'un accord pour l'achat de 400 chars Leclerc français, les Français prennent une brigade de troupes émiraties \"sous leur aile\", les entraînant en France pour les déployer à leurs côtés au Kosovo. Pour un pays qui n'avait obtenu son indépendance que moins de 30 ans plus tôt, c'était un geste audacieux. Là-bas, dans ce coin reculé des Balkans, nous étions à plus de 3 200 km d'Abu Dhabi, mais les EAU avaient clairement des ambitions bien au-delà des rives du Golfe. Ils étaient devenus le premier État arabe moderne à déployer son armée en Europe, en soutien à l'OTAN. La \"Petite Sparte\" Ensuite, il y a eu l'Afghanistan. Inconnues de la majorité de la population des EAU, les forces émiraties ont commencé à opérer discrètement aux côtés de l'OTAN peu après la chute des talibans, dans un mouvement sanctionné par le prince héritier d'Abu Dhabi, Mohammed Bin Zayed. En 2008, j'ai rendu visite à un contingent de leurs forces spéciales sur la base aérienne de Bagram et j'ai vu comment elles opéraient. Voyageant dans des véhicules blindés brésiliens et sud-africains, ils se rendaient dans un village afghan isolé et pauvre, distribuaient des corans gratuits et des boîtes de bonbons, puis s'asseyaient avec les anciens. Le personnel des forces spéciales des Émirats arabes unis a été déployé en Afghanistan \"De quoi avez-vous besoin ?\", demandaient-ils. \"Une mosquée, une école, des puits forés pour l'eau potable ?\" Les Émirats arabes unis mettaient l'argent en jeu pendant que les contrats faisaient l'objet d'un appel d'offres local. L'empreinte des Émirats était faible, mais partout où ils allaient, ils utilisaient l'argent et la religion pour essayer de réduire la suspicion locale généralisée à l'égard des forces de l'OTAN, souvent très puissantes. Dans la province de Helmand, ils ont également combattu aux côtés des forces britanniques dans des échanges de tirs intenses. L'ancien ministre américain de la défense, Jim Mattis, a par la suite surnommé les Émirats arabes unis \"Little Sparta\", en référence à ce pays relativement peu connu, avec une population de moins de 10 millions d'habitants, qui frappe bien au-delà de son poids. Le Yémen : Une réputation ternie Des employés du Croissant-Rouge des Émirats distribuent de l'aide à Socotra, au Yémen Puis vint le Yémen et une campagne militaire semée d'embûches. Lorsque le prince saoudien Mohammed bin Salman a entraîné son pays dans la désastreuse guerre civile du Yémen en 2015, les Émirats arabes unis s'y sont joints, envoyant leurs chasseurs F-16 pour mener des frappes aériennes contre les rebelles houthis et envoyant leurs troupes dans le sud. Durant l'été 2018, ils ont débarqué des troupes sur l'île stratégique yéménite de Socotra et ont amassé une force d'assaut sur une base louée à Assab en Érythrée, évitant à la dernière minute de les envoyer de l'autre côté de la mer Rouge pour reprendre le port de Hudaydah aux Houthis. La guerre au Yémen dure maintenant depuis près de six ans, il n'y a pas de vainqueur évident et les Houthis restent fermement ancrés dans la capitale, Sanaa, et dans une grande partie du pays. Les forces des Émirats arabes unis ont subi des pertes, dont plus de 50 en une seule frappe de missile, ce qui a entraîné trois jours de deuil national au pays. La réputation des EAU a également été ternie par leur association avec des milices locales peu recommandables liées à Al-Qaïda et par les rapports de militants des droits de l'homme selon lesquels des associés des EAU ont enfermé des dizaines de prisonniers dans un conteneur de transport, où ils sont morts étouffés par la chaleur. Israël : Une nouvelle alliance Benjamin Netanyahu et le prince Mohammed Al Nahyan ont négocié l'accord avec l'aide des États-Unis Les EAU ont depuis lors réduit leur implication dans le conflit peu concluant et destructeur du Yémen, mais ils continuent à étendre leurs tentacules militaires loin et large dans une tentative controversée de repousser l'influence croissante de la Turquie dans la région. Ainsi, alors que la Turquie a une présence importante dans la capitale somalienne Mogadiscio, les EAU soutiennent le territoire séparatiste du Somaliland et ont construit une base à Berbera sur le Golfe d'Aden. Dans une Libye déchirée par la guerre, les EAU se sont joints à la Russie et à l'Égypte pour soutenir les forces de Khalifa Haftar à l'Est contre celles de l'Ouest qui sont soutenues par la Turquie, le Qatar et d'autres pays. En septembre dernier, les EAU ont envoyé des navires et des avions de chasse sur l'île de Crète pour des exercices conjoints avec la Grèce, alors que ce pays se préparait à un éventuel affrontement avec la Turquie au sujet des droits de forage en Méditerranée orientale. Et maintenant, après une annonce soudaine et dramatique de la Maison Blanche, il y a une alliance EAU-Israël de grande envergure, qui met un sceau officiel sur des années de coopération secrète. (Comme l'Arabie saoudite, les EAU ont discrètement acquis des logiciels de surveillance intrusifs fabriqués en Israël pour garder un œil sur leurs citoyens). Si l'alliance englobe un large éventail d'initiatives dans les domaines de la santé, de la biotechnologie, de la culture et du commerce, elle a également le potentiel de créer une formidable relation stratégique militaire et sécuritaire, en exploitant la technologie de pointe d'Israël avec les poches sans fond et les aspirations mondiales des EAU. L'ennemi commun des deux pays, l'Iran, a condamné l'accord, tout comme la Turquie et les Palestiniens, accusant les EAU de trahir les aspirations des Palestiniens à un État indépendant. Vers les étoiles Une fusée transportant la sonde martienne des Émirats arabes unis a décollé du Japon en juillet Les ambitions d'Abu Dhabi ne s'arrêtent pas là. Avec l'aide des États-Unis, il est devenu la première nation arabe à envoyer une mission sur Mars. Dans le cadre d'un programme de 200 millions de dollars (156 millions de livres sterling ; 170 millions d'euros) baptisé \"Hope\", son vaisseau spatial s'élance déjà à 126 000 km/h (78 000 mi/h) après avoir décollé d'une île japonaise isolée. Il devrait atteindre sa destination, distante de 495 millions de km, en février. Une fois sur place, il cartographiera les gaz atmosphériques qui entourent la planète rouge et renverra les données à la Terre. \"Nous voulons être un acteur mondial\", déclare le ministre d'État des affaires étrangères des Émirats arabes unis, Anwar Gargash. \"Nous voulons briser les barrières et nous devons prendre certains risques stratégiques pour les briser\". Cependant, certains craignent qu'en avançant aussi vite et aussi loin, les EAU risquent de se surpasser. \"Il ne fait aucun doute que les EAU sont la puissance militaire la plus efficace de la région [arabe]\", déclare l'analyste du Golfe Michael Stephens. \"Ils sont capables de déployer des forces loin à l'étranger d'une manière que les autres États arabes ne peuvent tout simplement pas faire. Mais ils sont également limités par leur taille et leur capacité, et il est risqué de s'attaquer à tant de problèmes à la fois, et à long terme, cela pourrait se retourner contre eux\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50391108", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50546266", "doc1": "একেকজন একেকভাবে তার হাসি প্রকাশ করে থাকেন। এটা ঠিক যে টেক্সট বা মেসেজ পাঠানোর সময় কেউই সময় কিম্বা ড্যাটা নষ্ট করতে চায় না। একারণেই অনেক মানুষ এমন শব্দ ব্যবহার করে, যা দিয়ে কোন ধ্বনিকে প্রকাশ করা যায়। যেমন ধড়াস, ক্রিং ক্রিং, হৈ হৈ, ঠাস ঠাস অথবা দ্রুম দ্রাম ইত্যাদি। হাসির শব্দ তো সার্বজনীন- সব ভাষাতে ও সব মানুষের মুখে এই হাসি একই রকমের। তাই কি? আসলে ঠিক তা নয়। আমাদের সবার হাসির শব্দ হয়তো একই রকমের হতে পারে, কিন্তু সেই হাসি যখন আমরা শব্দে প্রকাশ করি বা বানান করে লিখি তখন সেটা একেক দেশে একেক ভাষায় একেক রকমের হয়। ১. Haha অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি অনুসারে হাসি প্রকাশের সঠিক বানান হচ্ছে ha ha অথবা Ha ha ha! কিন্তু যখন কোন মেসেজ বা টেক্সট পাঠানো হয় তখন সেটা কতো দ্রুত, কতো সহজে ও কতোটা স্বতস্ফূর্তভাবে পাঠানো হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে আমরা সাধারণত hahaলিখে মেসেজ পাঠ��ই। অনেকে আবার hehe... ও লিখে থাকেন। কিন্তু এটা এখনো অতোটা জনপ্রিয় হতে পারেনি। ২. Kkkkkk Kkkkkkkkkk! আরো পড়তে পারেন: আপনার জন্য হাসি কেন দরকার? ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুক গ্রুপ চ্যাট নিয়ে যত প্রশ্ন ও তার উত্তর আপনি যদি পর্তুগীজ কিম্বা কোরীয় ভাষাতে আপনার হাসি প্রকাশ করতে চান তাহলে লেখা হয় kkkkkk পর্তুগীজ ভাষীরা, বিশেষ করে ব্রাজিলে, হাসির ধ্বনি সাধারণত ইংরেজি বর্ণমালা kদিয়ে প্রকাশ করে। কিন্তু এই হাসিটাই যদি খুব বেশি জোরে হয় তাহলে কয়েকবার k ব্যবহার করে লেখা হয় kkkkkk - অনেকে আবার লেখেন rsrsrs যা পর্তুগীজ শব্দ রিসোসের (হাসি) সংক্ষিপ্ত রূপ। পর্তুগীজ ভাষার সাথে কোরীয় ভাষার কিছু কিছু মিল আছে, তবে যদি মুখ টিপে হাসা বা চাপা হাসি প্রকাশ করতে হয় তারা লিখবেন ㅋㅋㅋㅋㅋㅋ. k অথবা ㅋএই দুটোই মুখের গভীরে জিহ্বার একেবারে গোড়া থেকে উচ্চারণ করা হয়, যা হাসির ফলে যে শব্দ হয় তার কাছাকাছি হতে পারে। মানুষ যতো ভাষায় কথা বলে তার প্রায় সবকটিতেই খুশির শব্দ এই বর্ণমালার কাছাকাছি ধ্বনির সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। ৩. Xaxaxa গ্রিসে কেউ যদি প্রাণ খুলে অনলাইনে হাসতে চান, তাহলে তিনি hahaha অথবা kkkkkk এই দুটোর কোনটাই না লিখে লিখবেন xaxaxa, কারণ সেখানে এই অক্ষরগুলো দিয়েই হাসিটাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব। ৪. Olololo আপনি কতোগুলো ভাষায় হাসতে পারেন? রাশিয়াতে কেউ যদি সিরিলিক বর্ণমালা ব্যবহার করে হাসি প্রকাশ করতে চান তাহলে তারাও লিখবেন хахаха. কেউ কেউ আবার লিখে থাকেন Olololo। ৫. Kiekie কেউ আবার যদি তার হাসি বান্টু ভাষা লিঙ্গালায় প্রকাশ করতে চায়, তাকে লিখতে হবেkiekie. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও তার প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে ৮০ লাখ মানুষ এই ভাষাতে কথা বলেন। তাদের হাসি যদি এমন হয় যে তারা সেটা থামাতেই পারছেন না তাহলে তারা লিখবেন kiekiekie. ৬. Jajaja স্প্যানিশ ভাষায় হাসি। অনুষ্ঠানিক স্প্যানিশ ভাষায় যদি হাসি প্রকাশ করতে হয় তাহলে লিখতে হবে \"Ja, ja, ja\" কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই লেখেন jajaja - অথবা jajajajaaaa. এটা নির্ভর করে তার হাসির তীব্রতার ওপর। তবে একেক রকমের হাসির জন্যে ব্যবহার করা হয় একেক রকমের বর্ণমালা। যেমন দুষ্টু হাসির জন্যে je অথবা jejeje, নিঃশব্দ হাসির জন্য jijiji আর বিস্ময়কর হাসি বোঝাতে jojojo! ৭. mdr ফরাসী ভাষাতেও হাসির ধ্বনি যখন বানান করে লিখে প্রকাশ করা হয় তখন hahahaলেখা হয়। কিন্তু ফরাসী ভাষীরা তার পরিবর্তে কখনো সখনোmdr ব্য��হার করেন। কেন? কারণ এটা হচ্ছে mort de rire (হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এছাড়াও এটি খুব দ্রুত টাইপ করা যায়। ৮. lwkmd Oh, you made me laugh নাইজেরিয়াতে কিছু হাস্যকর সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়। শুধু সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণেই সেটা করা হয় না। এটা অনেক জোরালোও বটে। lwkmd হচ্ছে laugh wan kill me die -এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ বিষয়টি এতোটাই হাসির যে হাসতে হাসতে আপনি মরেই যাচ্ছেন। ৯. 555555 আপনি যদি কখনো কোন থাই বন্ধুর কাছ থেকে মজার মেসেজ পান তাহলে দেখবেন যে সে আপনাকে ইংরেজি 5 নম্বরটি কয়েকবার লিখে পাঠিয়েছে। থাইল্যান্ডে হাসির আওয়াজ হচ্ছে 555555. এই বর্ণমালা যে থাই ভাষা থেকে এসেছে সেটি 'ক্রা-দাই' ফ্যামিলির। এতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ চীন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষ কথা বলে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি চীনে থাকেন, তাহলে সাবধান! সেখানে 5 এই নম্বরটি উচ্চারিত হয় \"উ\" শব্দের মতো যার সাথে আবার কান্নার আওয়াজের মিল আছে। ফলে সেখানে 555555 এর অর্থ হতে পারে গভীর কান্নাও। ১০. H অনেকেই লেখেন ههههه ল্যাটিন অক্ষরের পর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় আরবী বর্ণমালা। ইসলামের প্রসারের সাথে সাথে এই ভাষাটিও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। আরো অনেক ভাষা লেখা হয় আরবী বর্ণমালা ব্যবহার করে। এই বর্ণমালার একটি বৈশিষ্ট্য হলো যে এটি শুধু ব্যাঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করে থাকে। ফলে তাদের ha তে aথাকে না। ফলে হাসির ধ্বনি হচ্ছে: hhhhhh অথবা ههههه ১১. Www জাপানি ভাষায় হাসির জন্যে শব্দ হচ্ছে ওয়ারাই অথবা 笑い এখন এটা টাইপ করতে সময় লাগে। ফলে অনেকেই লেখেন www অথবা wwwww. ১২. Ha3 ফোনে কিছু দেখে এক নারীর প্রাণবন্ত হাসি। মালয়েশিয়াতে তারা এটিকে আরো সংক্ষিপ্ত করেছে, যা যোগ করেছে একেবারে ভিন্ন মাত্রা। চাপা হাসি বোঝাতে লিখতে পারেন: Ha আর হাসি যদি জোরে হয় তাহলে লিখবেন Ha3 (যার অর্থ hahaha = ha x 3 = ha3) ১৩. Ahahah ভাববেন না যে এখানে টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। আমরা আসলেই লিখতে চেয়েছি ahahah. ইটালিয়ান ভাষায় hঅক্ষরটি উচ্চারিত হয় না। তবে এটি অন্যান্য স্বরবর্ণের উচ্চারণ বদলে দিতে পারে। এক্ষেত্রে a অক্ষরের পর h ব্যবহার কোন হাসির ব্যাপার নয়- ইটালিতেha এর অন্য একটি অর্থ আছে। তা থেকে আলাদা করতেই hএর আগে a ব্যবহার করা হয়। ১৪. høhøhø নরওয়েতে হাসি বোঝানো হয় কীভাবে? বেশিরভাগ মানুষই লিখেন hahaha. তবে কেউ কেউ তাদের নিজস্ব একটি প্রকাশভঙ্গির পক্ষে। høhøhø... ��্যানিশ ভাষা- hæhæhæ (যাhehehe এর কাছে) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এটা ব্যবহার করে থাকতে পারেন। আরো পড়তে পারেন: তূর্ণা ও উদয়ন ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু হতাহত রোহিঙ্গা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার অভিযোগ কেন? চলতি বছরেই ১০০ বিস্ফোরণ: সুইডেনে হচ্ছে কি?", "doc2": "\"Ha, ha, ha, très drôle\".... En envoyant des SMS, il est plus rapide et plus facile d'écrire un son que \"Je ris comme une folle\". C'est une vérité universellement acceptée que la plupart des gens ne veulent pas perdre de temps - ou de données - en envoyant des SMS. C'est pourquoi tant de gens dans le monde utilisent des onomatopées, des mots qui imitent phonétiquement le son qu'ils décrivent, comme Pfff, buzz ou moo. Lire aussi: Alors, vous pensez que le rire est un son universel ? Eh bien, pas tout à fait. Nous pouvons tous sembler pareils quand nous rions, mais il s'avère que nous épelons ce son de façon très différente à travers le monde... Ha ! 1. mdr Ce n'est pas une onomatopée. En français, le son pour un bon rire s'écrit aussi en hahahaha... mais les francophones choisissent souvent d'utiliser mdr à la place. Pourquoi ? C'est l'abréviation de mort de rire (mourir de rire) et c'est encore plus rapide à taper. Lire aussi: 2.Haha Selon le dictionnaire anglais Oxford, la bonne façon d'exprimer le rire lorsqu'on écrit en anglais devrait être ha ha ou Ha ha ha ! Mais comme nous l'avons vu, l'envoi de SMS est une question de rapidité, de simplicité et de spontanéité - vous avez donc plus de chances de recevoir et d'envoyer un haha bref. Si en plus de l'humour, vous voulez exprimer votre suffisance, vous pouvez aussi vous lancer dans un hehe... bien que cela ne vous rendra peut-être pas aussi populaire. Lire aussi: 3.Kiekie Mais vous voudrez peut-être exprimer votre amusement en lingala - la langue bantoue parlée par plus de huit millions de personnes en RD Congo et dans les pays voisins. Dans ce cas, rien de mieux que Kiekieou même kiekiekie, si vous tombez dans une crise de rires incontrôlables. 4. lwkmd Oh, tu m'as fait rire Au Nigéria, ils préfèrent aussi utiliser une abréviation amusante à la place - non pas parce qu'elle est plus courte, mais parce qu'elle est plus emphatique. Tiré d'une interprétation plutôt libre de l'anglais pidgin, lwkmd est l'abréviation de \"laugh wan kill me die\" - ce qui signifie \"rire de vous-même à mort\" parce que c'est extrêmement drôle. Lire aussi: 5. Kkkkkk Kkkkkkkkkk! Si vous voulez montrer votre amusement en portugais ou en coréen, kkkkkk est la voie à suivre. Les locuteurs portugais, surtout au Brésil, expriment le son du rire avec la lettre k, qui se prononce un peu comme \"kja\". Si vous riez bien en ligne, vous aurez besoin de kkkkkk - bien que certaines personnes puissent aussi écrire rsrsrs comme abréviation de risos (rires). La langue coréenne n'a peut-être pas grand-chose en commun avec le portugais, sauf quand il s'agit de rire ou de ㅋㅋㅋㅋㅋㅋ. Il s'avère que le son k ou ㅋ en coréen est aussi une consonne velar - ces lettres qui se prononcent à la base de la langue contre le palais mou à l'arrière de la bouche - qui font le son le plus proche du rire. C'est peut-être un bon signe que le son joyeux de cette consonne est le plus courant dans toutes les langues humaines. 6. Xaxaxa En Grèce, si vous voulez rire de tout votre cœur en ligne, ne pensez même pas à aller pour hahaha de kkkkkk... la phonétique dicte que xaxaxa vous donnera le son que vous êtes après. Lire aussi: 7. Olololo Dans combien de langues pouvez-vous rire ? Par coïncidence, si vous envoyez des SMS en Russie en utilisant l'alphabet cyrillique - le système d'écriture utilisé par plus de 50 langues slaves, turques et persanes - il ressemblera aussi à хахаха. Mais si vous voulez être original, il y a toujours la possibilité d'aller à Olololo (ou олололо en cyrillique). Lire aussi: 8. Jajaja For a hearty Spanish laugh, stick the base of your tongue to the back of your throat and hone your \"J\" sounds Strictement parlant, en espagnol formel, vous devriez écrire \"Ja, ja, ja\", mais la plupart des gens utilisent jajaja - ou même jajajajaaaa s'ils ont succombé à un accès de rire fou. Vous pouvez aussi choisir un jeje plus discret, un jejeje pour un vilain rire, un jijiji sournois pour exprimer votre complicité, ou même montrer votre surprise amusée avec un jojojo retentissant ! 9. 555555 Si jamais vous recevez un message d'un ami thaïlandais avec une prolifération de numéros 5, soyez prêt à passer un bon moment : en Thaïlande, 555555 est le son du rire. Le thaï appartient à la famille linguistique Kra-Dai - un groupe de langues tonales (où la tonalité peut changer le sens d'un mot) parlées par quelque 93 millions de personnes en Asie du Sud-Est, en Chine du Sud et au nord-est de l'Inde. Une chaîne de 555555 est la représentation graphique d'un bon rire, puisque la prononciation du chiffre 5 est presque identique à \"ha ! Mais si vous êtes en Chine, méfiez-vous ! Là, le chiffre 5 se prononce \"wu\", un son étroitement associé aux pleurs, de sorte que 555555 pourrait signifier beaucoup de gémissements. 10. H Que pourrais-tu dire d'autre que... ههههه L'alphabet arabe est le deuxième alphabet le plus utilisé, après l'alphabet latin. Il s'est répandu dans le monde entier avec l'Islam, et comme il a été adopté dans de nouveaux pays, il est devenu la source de l'écriture pour diverses autres langues. Une particularité de l'alphabet arabe est qu'il s'agit d'un abjad, ce qui signifie qu'il utilise uniquement des consonnes. Par conséquent, il n'y a pas de a dans leur ha. Alors, riez : hhhhhhhhh ou même ههههه Lire aussi: 11. Www Au Japon, le monde du rire est warai ou 笑い Vous pourriez prendre le temps et l'effort de tout taper, ou simplement aller sur www pour rire, ou wwwww quand vous divisez vos côtés. 12. Ha3 Tu te fous de moi ! En Malaisie, ils ont porté la brièveté à un tout autre niveau. Tu peux ricaner : Ha Ou tu peux totalement craquer : Ha3 (qui est hahaha = ha x 3 = ha3) 13. Ahahahah Ne vous inquiétez pas, ce n'est pas une faute de frappe, nous voulions vraiment écrire ahahah. En italien, la lettre h est silencieuse, mais elle a le super pouvoir de modifier la prononciation d'autres voyelles proches. Et dans ce cas, l'utilisation du h après la lettre a n'est pas un sujet de rire - il est essentiel de ne pas se confondre avec le verbe italien à avoir, qui est écrit ha. Lire aussi: 14. høhøhøhø Et comment glousseriez-vous en Norvège ? En toute honnêteté, la plupart des gens là-bas utilisent hahaha. Mais certains ont favorisé le høhøhø plus unique.... sans parler de ceux qui s'inspirent de la langue danoise et expérimentent avec le hæhæhæ (près de hehehe). En se baladant autour"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45622958", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45629235", "doc1": "অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি বর্তমানে ১২% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে ধূমপানকে এবং ৭% নারীর ক্যান্সারের কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজনকে চিহ্নিত করা হয়। তবে ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় এবং নারীদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়তে থাকায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে যে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ধূমপানকে ছাড়িয়ে ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হবে অতিরিক্ত ওজন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র এক ধারণা অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের ১০% (প্রায় ২৫ হাজার জন) এর ক্যান্সারের কারণ হবে ধূমপান এবং ৯% নারীর (প্রায় ২৩ হাজার জন) ক্যান্সারের কারণ হবে অতিরিক্ত ওজন। আর এই ধারা বজায় থাকলে, ২০৪৩ সালের মধ্যে ধূমপানের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেশি থাকবে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দিশেহারা রোগীরা ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে স্বর্ণ: গবেষণা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বেশি ঝুঁকিতে নারীরা পুরুষদের মধ্যেও স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন বেশ সাধারণ ���কটি বিষয়। তবে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে বেশি। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে অন্ত্র, গল ব্লাডার, কিডনি, লিভার, স্তন, জরায়ু ও থাইরয়েডের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর নারীদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার হবার প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত ওজন হলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে নারীদের মধ্যে। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, গত এক দশকে যুক্তরাজ্যের শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার হার বেড়েছে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ লিন্ডা বওল্ড বলেন শৈশবে অতিরিক্ত ওজন যাদের ছিল, প্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালীন তাদের দৈহিকভাবে স্থূল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি থাকে। ক্যান্সার সেল 'পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই' মিজ বওল্ড বলেন, \"স্থূলতা আর ক্যান্সারের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে এবং শিশুদের এ সম্পর্কে সচেতন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এখনই।\" মিজ. বওল্ড জানান 'কম স্বাস্থ্যকর' খাবারের বিজ্ঞাপনে মূল্য প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ এবং রাত ৯টার আগে টেলিভিশনে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মত নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন বছরের পর বছর ধূমপানের কারণে হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রচারসহ সিগারেটের ওপর শুল্ক আরোপ, তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা সহ বিভিন্ন নীতি যে কাজে এসেছে, তার প্রমাণ হলো গত কয়েক দশকে যুক্তরাজ্যের মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাওয়া। মিজ বওল্ড বলেন, \"ধূমপানের পর এবার ক্যান্সারের আরেক প্রধান কারণের বিরুদ্ধেও আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।\" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনে রাজি ড. কামাল এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন মাত্রা", "doc2": "Actuellement, 12 % des cancers chez les femmes sont liés au tabagisme et 7 % à l'embonpoint et à l'obésité. Mais avec le nombre de fumeurs en baisse et les taux d'obésité qui devraient augmenter, l'organisme estime que cet écart disparaîtra dans 25 ans. Les données prévoient que les tendances actuelles se poursuivront. Selon les prévisions de Cancer Research UK, d'ici 2035, 10 % des cancers chez les femmes (environ 25 000 cas) pourraient être liés au tabagisme et 9 % (environ 23 000 cas) à un excès de poids. A lire aussi : Vers la hausse des décès causés par le cancer Et d'ici 2043, si ces tendances se poursuivent, le surpoids et l'obésité pourraient être liés à encore plus de cas de cancer que le tabagisme chez les femmes. Prévention du tabagisme Bien que l'obésité soit plus fréquente chez les hommes, on pense que l'obésité chez les femmes est un facteur plus important de cancer que le tabagisme. Le rapport indique que les types de cancer liés au tabagisme comprennent la leucémie myéloïde aiguë, le poumon, la vessie, l'intestin, le col utérin, le pancréas et l'estomac. Les cancers liés au surpoids ou à l'obésité comprennent les intestins, la vésicule biliaire, les reins, le foie, le sein, les ovaires et la thyroïde. Le professeur Linda Bauld, spécialiste de la prévention de Cancer Research UK, a déclaré que le gouvernement devait tirer les leçons de la prévention du tabagisme pour réduire le nombre de cancers liés au poids. Elle rappelle que les personnes en excès de poids durant l'enfance sont cinq fois plus susceptibles d'être en excès de poids à l'âge adulte. Le saviez-vous ?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52059135", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52062877", "doc1": "মায়ামি অঙ্গরাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে চীন (৮১,৭২৮ জন) এবং ইতালিকে (৮০,৫৮৯) ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুই দেশের তুলনায় কম। যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১২০০ জন। যেখানে চীনে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,২৯১ জনের এবং ও ইতালিতে মারা গেছেন ৮,২১৫ জন। হোয়াইট হাউজ কী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে? বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান যে দেশটির ৫০টি রাজ্যেই এখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সারাদেশে ৫ লাখ ৫২ হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে। চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বেইজিংয়ের প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে সন্দেহও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, \"আপনি সঠিকভাবে জানেন না চীনে আসল সংখ্যাটা কত।\" ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ বিষয়ে শি জিনপিং'এর সাথে ফোনে কথা বলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলো করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট কী মনে করেন? করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যকেই লকডাউন করা হয়েছে এবং বেশকিছু রাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইস্টার সানডে'র দিন, ১২ই এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। শুরুতে সমালোচিত হলেও ��খন ঐ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হোক, তাই চাইছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার জানা যায় যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ৩৩ লাখ অ্যামেরিকান নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, \"তাদের (অ্যামেরিকানদের) কাজে ফিরে যেতে হবে, আমাদের দেশকে কাজে ফিরতে হবে।\" \"ফিরে যেতে হবে বললে অনেকেই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন। কাজে ফিরলেও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলবেন।\" তিনি জানান আগামী সপ্তাহে এই পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার মাসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে প্রেসিডেন্ট কি মানুষকে কাজে ফেরার আদেশ দিতে পারেন? না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের গভর্নরদের। তার অর্থ হলো ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কবে উঠিয়ে নেয়া হবে, তা গভর্নরদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ২১টি অঙ্গরাজ্য করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি কী হতে পারে? বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার মাসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের ঐ গবেষণায় ধারণা করা হয় যে মহামারির চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে ২,৩০০ মানুষ মারা যেতে পারে, যেটি এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় হতে পারে।", "doc2": "Donald Trump a discuté avec son homologue chinois de la pandémie Selon les derniers chiffres de l'université Johns Hopkins, les États-Unis ont dépassé la Chine (81 782 cas) et l'Italie (80 589). Mais avec près de 1 300 décès liés au Covid-19, les États-Unis sont à la traîne derrière la Chine (3 291) et l'Italie (8 215) en terme de mortalité due au covid-19. Le président Donald Trump avait prédit que le pays se remettrait au travail \"assez rapidement\". Comment la Maison Blanche a-t-elle réagi ? Interrogé sur les derniers chiffres lors d'un briefing de la Maison Blanche jeudi après-midi, le Président Trump a déclaré que la situation était liée \"à la quantité de tests que nous faisons\". Le vice-président Mike Pence a déclaré que les tests de coronavirus étaient désormais disponibles dans les 50 États et que plus de 552 000 tests avaient été effectués dans tout le pays. M. Trump a également mis en doute les chiffres qui sortent de Pékin, a déclaré aux journalistes : \"vous ne savez pas quels sont les chiffres en Chine.\" Mais plus tard, il a tweeté qu'il avait eu une \"très bonne conversation\" avec le président chinois Xi Jinping. \"La Chine a traversé beaucoup de choses et a développé une forte compréhension du virus. Nous travaillons en étroite collaboration. Beaucoup de respect !\" a déclaré le président Trump. Le président espère-t-il encore assouplir les restrictions ? M. Trump a décidé de la réouverture du pays le dimanche de Pâques 12 avril, une mesure très critiquée. un nombre sans précédent de 3,3 millions d'Américains ont été licenciés à cause du virus. Lors de la réunion d'information de jeudi, il a déclaré que \"le peuple américain doit retourner au travail, notre pays doit y retourner, notre pays est basé sur cela et je pense que cela va se faire assez rapidement\". \"Nous pouvons prendre des parties de notre pays, nous pouvons prendre de grandes parties de notre pays qui ne sont pas si gravement touchées et nous pouvons le faire de cette façon\". Il a ajouté : \"beaucoup de gens interprètent mal quand je dis \"retournez\" - ils vont pratiquer autant que possible la distanciation sociale, et se laver les mains et ne pas serrer la main et toutes les choses dont nous avons parlé\". Il a promis plus de détails la semaine prochaine. Que pourrait-il prévoir ? Les États-Unis comptent aujourd'hui plus de cas confirmés de coronavirus que tout autre pays, avec plus de 85 500 tests positifs. Dans une lettre adressée jeudi aux gouverneurs des États, M. Trump a déclaré que son équipe prévoit de publier des lignes directrices fédérales sur la distanciation sociale qui pourraient conseiller à certaines régions d'assouplir leurs restrictions. M. Trump a parlé d'une \"longue bataille à venir\" et a déclaré que des protocoles de test pourraient permettre à certains comtés de lever leurs protections contre le coronavirus. Il a ajouté que les \"nouvelles lignes directrices\" créeraient des zones à risque faible, moyen et élevé qui permettraient au gouvernement de donner des conseils sur \"le maintien, l'augmentation ou l'assouplissement de la distance sociale et des autres mesures d'atténuation qu'ils ont mises en place\". Jeudi soir, M. Trump a téléphoné à l'animateur de l'émission Sean Hannity de Fox News et a déclaré qu'il pensait que l'Iowa, l'Idaho, le Nebraska et certaines parties du Texas pourraient rouvrir plus tôt que les autres États. Le plan a émergé alors que de nouvelles recherches ont estimé jeudi que les décès liés au Covid-19 aux Etats-Unis pourraient dépasser les 80.000 au cours des quatre prochains mois - même si les gens observent une stricte distanciation sociale. Jusqu'à 2 300 patients pourraient mourir chaque jour d'ici avril, selon l'étude de l'Institute for Health Metrics and Evaluation de la faculté de médecine de l'université de Washington. Comment réagissent les Américains? Nombre de cas par Etats aux Etats-unis L'objectif de retour au travail du président républicain a reçu un soutien inattendu jeudi de la part d'un éminent démocrate. Le gouverneur Andrew Cuomo de New York, l'épicentre actuel du coronavirus aux États-Unis, a déclaré que les ordres de quarantaine à l'échelle de l'État n'étaient peut-être pas la meilleure approche du coronavirus. \"La mise en quarantaine des jeunes avec les personnes âgées n'était probablement pas la meilleure stratégie de santé publique\", a-t-il déclaré lors d'une conférence de presse, \"car les jeunes auraient pu exposer les personnes âgées à une infection\". M. Cuomo a déclaré qu'une meilleure façon d'avancer pourrait être une \"stratégie de retour au travail\" en tandem avec une stratégie de santé publique. Les experts en santé publique du groupe de travail de la Maison Blanche se sont interrogés sur la possibilité de rouvrir le pays d'ici Pâques, suggérant que le calendrier soit \"très souple\". Le président peut-il ordonner à tout le monde de reprendre le travail ? Les Etats américains avec des mesures de restrictions et de confinement Non. Le 16 mars, il a fixé une période de 15 jours pour ralentir la propagation de Covid-19 en exhortant tous les Américains à réduire drastiquement leurs interactions publiques. Mais ces directives étaient volontaires et n'équivalaient pas à un ordre national. La Constitution américaine stipule clairement que les États ont le pouvoir de maintenir l'ordre et la sécurité publics, ce qui, selon les spécialistes, signifie qu'il incombe aux gouverneurs de décider quand les restrictions liées au virus seront levées. Actuellement, 21 États américains ont dit à leurs habitants de rester chez eux ou ont ordonné la fermeture d'entreprises non essentielles afin de contenir la pandémie. Que se passe-t-il ailleurs aux États-Unis ? On craint de plus en plus que la Louisiane ne devienne le prochain point chaud du pays, le gouverneur ayant averti que la plus grande ville de l'État, la Nouvelle-Orléans, pourrait être privée de respirateurs d'ici le 2 avril et potentiellement de lits d'ici le 7 avril. \"Ce n'est pas une conjecture, ce n'est pas une mince théorie\", a déclaré John Bel Edwards lors d'une conférence de presse. \"C'est ce qui va se passer.\" En outre, le Dr Deborah Birx, coordinatrice de la réponse de la Maison Blanche au coronavirus, a déclaré que deux autres villes montraient des signes d'augmentation rapide des nouvelles infections - Detroit, où le maire a décrit la situation comme \"vraiment préoccupante\", et Chicago. À New York, plus de 6 400 appels médicaux d'urgence ont été passés en 24 heures mardi, dépassant le total des attaques du 11 septembre. Mark Blum, un acteur qui a joué dans Desperately Seeking Susan et Crocodile Dundee, est mort à 69 ans d'un coronavirus, selon la Screen Actors Guild Le Canada a rejeté la proposition américaine de déployer des troupes à sa frontière commune pour aider à combattre le virus - le vice-Premier ministre a déclaré que cela serait \"préjudiciable à nos relations\". Un supermarché de Pennsylvanie a déclaré avoir dû détruire plus de 35 000 dollars de nourriture après qu'une femme ait intentionnellement toussé dessus lors d'une farce au coronavirus. Selon le San Francisco Chronicle, des coyotes errent dans les rues vides de la ville de Californie, après que les habitants se sont retirés à l'intérieur pour limiter la propagation du virus."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41424228", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-41430597", "doc1": "ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ, \"ট্রাম্প বলেছেন ফেসবুক তাঁর বিরোধী। উদারপন্থীরা বলছেন আমরা ট্রাম্পকে সাহায্য করছি\"। এক টুইট বার্তায় গতকাল বুধবার মি: ট্রাম্প বলেছেন, \"ফেসবুক সবসময় ট্রাম্প-বিরোধী। সামাজিক মাধ্যমগুলোই ট্রাম্প-বিরোধী, ভুয়া বার্তা দেয়। এমনকি নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাহলে কি সব যোগসাজশ?\" সামাজিক মাধ্যম নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মি: জাকারবার্গ বলেন, রাজনীতির দুই পক্ষই ফেসবুকের নানা কিছু নিয়ে হতাশ হয়েছে কারণ এগুলো তাদের পক্ষে ছিলো না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীরাও তাকে মিস্টার ট্রাম্পকে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' আর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইনপ্রণেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খবু শিগগিরই এই তদন্ত কর্মকর্তাদের সাইটটিতে প্রদর্শিত তিন হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন জমা দেবে। ফেসবুক মনে করছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ও পরে ওই ব��জ্ঞাপনগুলোতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে আগামী ১লা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: হেমায়েতপুরে ট্যানারি কি আরেকটি হাজারীবাগ হবে? মেজাজ ভালো থাকলেই শুধু ফ্লুয়ের টিকা কাজ করে? একটি ভ্রমণ কাহিনী ও রোহিঙ্গা আদি নিবাস বিতর্ক", "doc2": "Le président américain Donald Trump a accusé le fondateur du réseau social Facebook Marc Zuckerberg d'être contre lui. \"Facebook a toujours été anti-Trump\", a tweeté le président mercredi, suggérant une \"collusion\" avec le New York Times et le Washington Post, eux aussi \"anti-Trump\" selon lui. Fin de Twitter publication, 1 Une accusation démentie par le PDG de Facebook dans un échange via les réseaux sociaux. \"Trump dit que Facebook est contre lui. La gauche affirme que nous avons aidé Trump. Les deux camps sont mécontents des idées et des contenus qu'ils n'aiment pas\", a répondu Mark Zuckerberg sur Facebook, qu'il présente comme une \"plateforme pour toutes les idées\". Mark Zuckerberg a accepté la semaine dernière de collaborer pleinement avec le Congrès dans le cadre de l'enquête sur une possible influence russe dans l'élection présidentielle remportée l'an dernier par Donald Trump. Facebook va fournir au Congrès le contenu de messages à caractère politique, financés par des intérêts russes via des achats d'espaces publicitaires sur le réseau social. Selon la presse, ces messages cherchaient à créer des tensions politiques sur divers sujets chez les Américains, dans le but, in fine, de nuire à la démocrate Hillary Clinton, alors en tête des intentions de vote. Le Kremlin nie toute implication dans l'élection. LIRE AUSSI Trump: \"Kim Jong-Un est un fou\" Trump \"invente\" un pays africain : la Nambie Une école se sert de l'image de Mélania Trump"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55599246", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49808430", "doc1": "জেলার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানডেট বলেছেন, \"হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতটা শিশুকে উদ্ধার করেছে কিন্তু ১০টা শিশু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মারা গেছে\"। মহারাষ্ট্রের ভানদারা ডিসট্রিক্ট হসপিটালে ঐ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল বাহিনী আসার আগে কর্তৃপক্ষ সাতটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনাকে \"হৃদয়বিদারক ট্রাজেডি\" বলে বর্ণনা দিয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে আগুন ধরে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে কারণ হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে বার বার বিস্ফারণ হচ্ছে। একজন নার্স বলেছেন, তিনি নবজাতকদের কেয়ার ইউনিটে ধোঁয়া দেখে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। জেলার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানডেট বলেছেন, \"হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতটা শিশুকে উদ্ধার ক��েছে কিন্তু ১০টা শিশু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মারা গেছে\"। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন তার \"কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না\"। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন তিনি 'গভীরভাবে শোকাহত\"। ভানদারা নাগপুর থেতে ৬২ কিমি দুরে। উত্তর-পূর্বের নাগপুর শহর মহারাষ্ট্রের অন্যতম জনবহুল শহর। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিল টুইটার বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাবেন না ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে", "doc2": "11 bébés et 107 femmes ont été secourus (image d'archive) L'information a rapporté la chaîne de télévision Channel 3. L'incendie qui s'est déclenché dans l'hôpital Bachir Bennacer à El Oued a été maîtrisé vers 04 : 00 heure locale (03 : 00 GMT), précise le média. Le Premier ministre Noureddine Bedoui avait ordonné une enquête \"urgente\" sur l'incendie et avait mandaté le ministre de la Santé de se rendre dans l'hôpital sinistré. Au total, 11 bébés et 107 femmes ont été secourus lors de cet incendie qui a ravagé l'hôpital a précisé à l'AFP un porte-parole des services d'urgence. Près de 30 membres du personnel ont également été secourus, a déclaré le capitaine Nassim Bernaoui à l'AFP. \"Malheureusement, nous regrettons la mort de huit bébés, certains brûlés et d'autres inhalés par la fumée, a-t-il ajouté. A lire aussi Deux projets de loi pour accélérer les élections en Algérie Manifestation en Algérie: la guerre des trolls Procès sous haute surveillance en Algérie"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54454800", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54452036", "doc1": "দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে প্রচারণা আরো তিক্ত হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে তেসরা নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা, দুই প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মাথায়। শীর্ষস্থানীয় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে রাশিয়া, চীন এবং ইরান এই তিনটি দেশ ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এমনকী গোপনেও তৎপরতা চালাবে। তবে তারা এই তিনটি দেশের ইচ্ছা ও ক্ষমতাকে একসাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, এসব দেশের নিজস্ব উদ্দেশ্য ও সক্ষমতা রয়েছে। গোয়েন্দাদের এসব সন্দেহ ও পর্যালোচনা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অবশ্য সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন: নির্বাচনে রাশিয়ার দিক থেকে যেসব ঝুঁকি রয়েছে সেগুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আর তিন সপ্তাহের মতো বাকি। এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স অ্যান��ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা বলেছেন, \"জো বাইডেনের মানহানি করার জন্য রাশিয়া নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।\" রাশিয়া প্রথমে দেখা যাক গোয়েন্দারা কী বলছেন: আপনারা হয়তো জানেন যে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। এনিয়ে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছে বিস্তর। মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন গত নির্বাচনে ভোটারদেরকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে নিয়ে যেতে চেষ্টা চালিয়েছে রাশিয়া। এর প্রমাণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন মি. ট্রাম্পের নির্বাচনী টিমের সাথে রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠক, হিলারি ক্লিনটন ও ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী প্রচারণায় সাইবার হামলা, বিভিন্ন রাজ্যের ভোটারদের তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশ এবং অনলাইনে এমন সব ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার কথা যেগুলো নাকি শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে গেছে। এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেনেটে রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেলও এমন মতামত দিয়েছে। রাশিয়া যে গতবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছিল তাদের মতামত এই ধারণাকেই আরো বেশি সমর্থন দিয়েছে। এই প্যানেল বলেছে, মি. ট্রাম্পের প্রচারণায় বিদেশিদের হস্তক্ষেপ খুব সহজ ছিল। তবে এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় তারা কোন অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র দেখতে পাননি। এবার ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের জায়গায় জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের (এনসিএসসি) পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা তার পর্যালোচনায় বলেছেন, \"প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানহানি করার জন্য রাশিয়া নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।\" ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতি সবসময় নাক গলিয়ে আসছে রাশিয়া। আরো পড়তে পারেন: আরো এক ধাপ এগিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার রে-এর অভিমত হচ্ছে রাশিয়া কখনোই এই তৎপরতা বন্ধ করেনি। তিনি মনে করেন, ২০১৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনেও রাশিয়া প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়েছে এবং সেটাকে তারা নিয়েছে \"২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একট�� মহড়া\" হিসেবে। বিদেশি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ শুরু থেকেই বারবার অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এবছরের আগের দিকে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, \"এধরনের অভিযোগ আনা মানসিক বৈকল্য এবং এর সাথে সত্যের কোন সম্পর্ক নেই।\" বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রাশিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে দেখতে চায় কীনা সেটি একটি প্রশ্ন। কিন্তু তাদের আরেকটি বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। যেমন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ভুয়া খবর ছড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া এই জোটকে মহামারি মোকাবেলার বিষয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। রাশিয়া অবশ্য এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এবারে দেখা যাক প্রার্থীরা কী বলছেন: ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে রাশিয়া যদি হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখে তাহলে \"এর মূল্য দিতে হবে।\" শুধু তাই নয়, রাশিয়াকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের \"প্রতিপক্ষ\" বলেও উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময়ই তাকে খাটো করে দেখেছেন। তবে এবিষয়ে তার নিজের গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের সাথেও মাঝে মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকের পর মি. ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি কি মার্কিন গোয়েন্দাদের নাকি মি. পুতিনের দাবী বিশ্বাস করেন? জবাবে মি. ট্রাম্পের উত্তর ছিল: \"প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন রাশিয়া কিছু করেনি। তারা কেন সেটা করবে আমি তার কোন কারণ দেখি না।\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য পরে বলেছেন যে তিনি ভুল বলেছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জো বাইডেন। মি. বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ চীনের ব্যাপারে তার অবস্থান নরোম। কিন্তু তিনি বলেছেন মানবাধিকারের মতো নানা বিষয়ে তিনি চীনের সাথেও কঠোর হবেন। চীন প্রথমে দেখা যাক মার্কিন গোয়েন্দারা কী বলছেন: ট্রাম্প প্রশাসনের প্রখ্যাত ব্যক্তিরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে রাশিয়া নয় বরং চীনই হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আসল হুমকি। \"আমি গোয়েন্দা তথ্য দেখেছি। এটাই আমার উপসংহার,\" বলেন এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রধান ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক অ্যাডাম শিফ অবশ্য এটা মানতে রাজি নন। মি. বারের বিরুদ্ধে তিনি \"মিথ্যা বলার\" অভিযোগ এনেছেন। মি. ইভানিনা তার পর্যালোচনায় বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন যে চীন চায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাতে পুনরায় নির্বাচিত না হন। কারণ বেইজিং-এর কাছে মি. ট্রাম্প 'নির্ভরযোগ্য' নন। \"যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ব্যাপারে চীন তার প্রভাব আরো বিস্তৃত করছে। বেইজিং যাদেরকে চীনা স্বার্থ-বিরোধী বলে মনে করে তাদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে, একই সাথে চীনের সমালোচনারও জবাব দিচ্ছে,\" বলেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় হুমকি চীন। 'প্রভাব' শব্দটির ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। যদিও অনেকে মনে করেন মতামতকে প্রভাবিত করতে চীনের অনেক সূক্ষ্ম কৌশল রয়েছে। মি. ইভানিনা নিশ্চিত নন যে চীন এবারের নির্বাচনে ঠিক কতদূর অগ্রসর হতে পারে। তবে তিনি বলেন, \"আগ্রাসী তৎপরতা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য চীন এই ঝুঁকি নেওয়া অব্যাহত রাখবে।\" চীনের ইচ্ছা হয়তো সারা বিশ্বের ব্যাপারে তাদের যে মতামত সেটা তুলে ধরা। ফেসবুক সম্প্রতি কিছু চীনা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত একটি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। এসব নেটওয়ার্ক থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো বিরোধের ইস্যুতে বেইজিং-এর স্বার্থের পক্ষেই কাজ করছিল। অন্যান্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। বেইজিং বলছে, এধরনের কাজ করতে তারা অনিচ্ছুক এবং এরকম কিছু করতে তারা আগ্রহীও নয়। এবার দেখা যাক প্রার্থীরা কী বলছেন: অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নিবন্ধ রিটুইট করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, \"এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন জো বাইডেনের পক্ষ নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।\" জো বাইডেনের ছেলে হান্টারের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, \"অবশ্যই তারা বাইডেনকে চায়। আমি চীনের কাছ থেকে শত শত কোটি ডলার নিয়ে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগার এবং আমাদের দরিদ্র কৃষকদের দিয়েছি। বাইডেন আর হান্টার জিতে গেলে চীন যুক্তরাষ্ট্রকেও জিতে নেবে।\" চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন খুবই খারাপ পর্যায়ে। করোনাভাইরাস থেকে শুরু করে হংকং-এ চীনের আরোপিত নতুন নিরাপত্তা আইন নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে তিক্ত বিরোধ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে চী��ের ব্যাপারে জো বাইডেনের অবস্থান নরম। মি. বাইডেন এই অভিযোগ খণ্ডনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, মানবাধিকারসহ অন্যান্য ইস্যুতে তিনি চীনের বিরুদ্ধে কঠোর হবেন। তবে তার দল ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি হচ্ছে অন্তত নির্বাচনের ব্যাপারে চীনের চেয়েও রাশিয়া অনেক বেশি আগ্রাসী। তেসরা নভেম্বর নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট- বাইডেন (বায়ে) নাকি ট্রাম্প? চীন নাকি রাশিয়া- কাকে বেশি ভয় পায় যুক্তরাষ্ট্র? নিরাপত্তা বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা গর্ডন করেরা বলছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ব্যাপারে খুব আস্তে ধীরে কাজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারসহ সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো। কিন্তু গত চার বছরে পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং এবার আর কেউ চুপ করে বসে নেই। তিনি বলেন, এবার কোম্পানিগুলো এবিষয়ে অনেক বেশি সোচ্চার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনীগুলোও নিয়মিত তাদের পর্যালোচনা প্রকাশ করছে। তবে এটাও ঠিক যে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে। \"ডেমোক্র্যাটরা মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতা করার জন্য রাশিয়া হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে, কিন্তু মি. ট্রাম্পের সমর্থকরা মনে করছেন তিনি যাতে পুনরায় নির্বাচিত হতে না পারেন সেজন্য এবার চেষ্টা করছে চীন।\" গর্ডন করেরা বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা এই দুটো অবস্থানের মাঝখান দিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তারা স্বীকার করছেন যে দুটো ঘটনাই ঘটছে। চীন ও রাশিয়ার ভূমিকার মধ্যে পার্থক্যের বিষয়ে মুখ খুলতে তারা রাজি নন। কারণ সেরকম কিছু হলে তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠতে পারে। \"রাশিয়ার হস্তক্ষেপ অনেক সংগঠিত এবং গোপন, তবে এটা এখনও ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাটদের ইমেইল হ্যাক করার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়নি,\" বলেন তিনি। তার মতে সময়ের সাথে সাথে এসব দেশের কৌশলেও পরিবর্তন ঘটেছে। তবে নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসবে এধরনের অভিযোগের কথা ততো বেশি শোনা যাবে।", "doc2": "Ces questions sont dans l'esprit des services de renseignement américains à l'approche de l'élection de novembre. Une évaluation d'un haut fonctionnaire avertit que les puissances étrangères utiliseront des \"mesures d'influence cachées et ouvertes\" pour tenter d'influencer les électeurs américains. Cela sous-entend la Russie, la Chine et l'Iran. Ces trois pays ne doivent pas être pris ensemble, car chacun d'entre eux, selon les services de renseignement américains, a son propre objectif et ses propres capacités. LIRE AUSSI: Qui était l'Iranien Qasem Soleimani? Trump \"moralement inapte\" à diriger les USA Election présidentielle américaine 2020 : qui est en tête des sondages- Trump ou Biden ? Trump ne s'engage pas à un transfert pacifique du pouvoir Les évaluations elles-mêmes font également l'objet d'un examen minutieux - un dénonciateur a récemment affirmé qu'on lui avait demandé de minimiser la menace que représente la Russie car elle \"faisait mal paraître le président\". Alors, à moins d'un mois de l'échéance, que doivent savoir les électeurs américains ? LA RUSSIE Que disent les services de renseignement ? Comme vous l'avez peut-être remarqué, la Russie a joué un rôle majeur lors des élections américaines de 2016 et de leurs conséquences. En bref, les services de renseignement américains pensent que la Russie a tenté d'influencer le vote en faveur de Donald Trump, en mettant en avant des réunions entre son équipe et des responsables russes, une cyber-attaque contre la campagne présidentielle d'Hillary Clinton et les démocrates, le ciblage des bases de données électorales par État et des efforts pour amplifier des données fausses ou partisanes en ligne. Le mois dernier, un panel du Sénat dirigé par des républicains a confirmé l'opinion selon laquelle la Russie voulait que M. Trump gagne, concluant que sa campagne était une cible facile pour l'influence étrangère, mais sans aller jusqu'à lancer des allégations de conspiration criminelle. Les services de renseignement américains affirment que la Russie n'a jamais cessé d'essayer de s'immiscer dans la politique américaine Quant à 2020, cette fois-ci, on échange Hillary Clinton contre Joe Biden. Dans son évaluation, destinée à être lue par le public américain, le directeur du Centre national de contre-espionnage et de sécurité (NCSC) William Evanina a déclaré que la Russie \"utilise une série de mesures pour dénigrer principalement l'ancien vice-président Biden\". Selon le directeur du FBI Christopher Wray, la Russie n'a jamais cessé de s'immiscer, qualifiant les efforts déployés pour les élections au Congrès de 2018 de \"répétition générale pour le grand spectacle de 2020\". La Russie a toujours nié toute ingérence dans les élections à l'étranger. Plus tôt cette année, un porte-parole du Kremlin a qualifié les accusations d'ingérence d' \"annonces paranoïaques\" qui n'avaient \"rien à voir avec la vérité\". Que la Russie souhaite ou non un second mandat pour le président Trump, un autre point de vue souvent exprimé par les analystes est que le pays a un objectif plus large de déstabiliser ses rivaux en semant la confusion. Par exemple, cette année, un document de l'UE a lancé l'allégations selon laquelle il y avait une campagne russe pour diffuser de fausses informations sur le coronavirus afin de rendre plus difficile, pour le bloc, de communiquer sa réponse. La Russie a déclaré que ces allégations étaient infondées. Que disent les candidats ? Joe Biden a récemment averti qu'il y aurait un \"prix à payer\" si la Russie continue à s'immiscer, qualifiant la Russie d'\"opposant\" aux États-Unis. Le président Trump a souvent minimisé les allégations d'ingérence russe, le mettant en désaccord avec ses propres experts du renseignement. Après un sommet de 2018 avec Vladimir Poutine, il lui a été demandé s'il croyait les services de renseignement américains ou le président russe sur les allégations de M. Trump : \"Le président Poutine dit que ce n'est pas la Russie. Je ne vois pas pourquoi ce serait le cas\". Il a déclaré plus tard qu'il s'était mal exprimé. LIRE AUSSI: LA CHINE Que disent les services de renseignement ? Des voix éminentes au sein de l'administration Trump ont fait valoir que c'est la Chine, plutôt que la Russie, qui constitue la principale menace cette année. \"J'ai vu les renseignements. C'est ce que j'ai conclu\", a déclaré le procureur général William Barr. Le démocrate Adam Schiff, qui préside la commission du renseignement de la Chambre des représentants, a accusé M. Barr de \"mentir carrément\" à travers ces commentaires. Dans son évaluation, M. Evanina a déclaré que les services de renseignement américains estiment que \"la Chine préfère que le président Trump - que Pékin considère comme imprévisible - ne soit pas réélu\". Le chinois Xi Jinping. L'administration Trump affirme que la Chine représente la plus grande menace pour les élections américaines \"La Chine étend ses efforts d'influence pour façonner l'environnement politique aux États-Unis, faire pression sur les personnalités politiques qu'elle considère comme opposées aux intérêts de la Chine et contrer les critiques à son égard\", a-t-il déclaré. L'utilisation du mot \"influence\" est remarquable. Bien que la Chine dispose de moyens sophistiqués pour influencer les opinions - les cyber-moniteurs de l'Observatoire Internet de Stanford listent \"des fermes de contenu, des brigades de commentateurs \"astroturf\", et des comptes et personnages fabriqués sur les canaux de médias sociaux\", on ne sait pas très bien jusqu'où la Chine est réellement prête à aller. \"La Chine continuera à peser les risques et les avantages d'une action agressive\", a déclaré M. Evanina. L'intention est peut-être davantage de promouvoir la vision du monde de la Chine. Facebook a récemment fermé un réseau de comptes liés à la Chine, dont une grande partie soutenait l'État chinois, comme ses intérêts dans la mer de Chine méridionale, qui fait l'objet d'un différend. La Chine a nié toute ingérence dans les affaires intérieures d'autres pays, affirmant qu'elle n'est pas \"intéressée ou désireuse de le faire\". LIRE AUSSI: Que disent les candidats ? Ce mois-ci, le président Trump a retweeté avec approbation un article sur le site web de Breitbart, intitulé \"La Chine semble favoriser Joe Biden lors de l'élection présidentielle\". \"Bien sûr qu'ils veulent Biden. J'ai pris des milliards de dollars à la Chine et je les ai donnés à nos agriculteurs et au Trésor américain. La Chine posséderait les États-Unis si Biden & Hunter étaient plébiscités !\" a écrit M. Trump, en parlant du fils de Joe Biden, Hunter. Les relations entre les États-Unis et la Chine sont au plus bas, avec des litiges sur tous les sujets, du coronavirus à l'imposition par la Chine d'une loi de sécurité controversée à Hong Kong. Joe Biden a cherché à se défendre contre les accusations du président Trump : il est doux avec la Chine, promettant d'être \"ferme\" sur les droits de l'homme et d'autres questions. Les démocrates, quant à eux, affirment qu'au moins en ce qui concerne les élections, c'est la Russie qui est la plus agressive. Qui les États-Unis craignent-ils le plus ? Cela dépend de celui à qui vous posez la question. Analyse de Gordon Corera, Correspondant Sécurité En 2016, le gouvernement américain, ainsi que les entreprises de réseaux sociaux, ont été lents à faire face à l'ingérence russe. Cette fois, personne ne reste silencieux, mais le paysage a changé. Les entreprises parlent haut et fort de ce qu'elles font et les renseignements américains publient régulièrement des évaluations. Mais la question est devenue profondément politisée. Les démocrates se concentrent sur l'ingérence russe pour aider le président Trump, tandis que ses partisans essayent de faire porter l'attention sur l'influence chinoise qui s'oppose à sa réélection. Les responsables de la sécurité nationale tentent de suivre une ligne de conduite très fine : ils reconnaissent que les deux phénomènes se produisent (ainsi que l'influence iranienne de niveau inférieur), mais ils essaient d'éviter de reconnaître qu'il y a des différences parce qu'ils craignent d'être entraînés dans un combat partisan. L'ingérence russe semble à la fois plus organisée et plus secrète jusqu'à présent, mais pas nécessairement à la même échelle ni avec le même impact que le piratage et la fuite de courriels des démocrates en 2016. Les tactiques ont également évolué avec ceux qui cherchent à s'ingérer en amplifiant souvent vraies informations et articles américains plutôt que de créer des documents falsifiés. Et l'on craint que d'autres éléments ne viennent s'ajouter aux dernières étapes de la campagne, notamment des efforts potentiels pour saper la crédibilité du processus électoral lui-même. LIRE AUSSI: L'IRAN Que disent les services de renseignements ? Dans sa déclaration, M. Evanina déclare que Téhéran est contre un nouveau mandat du président Trump, qui, selon lui, \"entraînera une poursuite de la pression américaine sur l'Iran dans un effort pour fomenter un changement de régime\". Les efforts de l'Iran, dit-il, se concentreront sur \"l'influence en ligne, comme la diffusion de désinformation sur les médias sociaux et la circulation de contenus anti-américains\". Soutenant les allégations des services de renseignements américain, le géant de l'informatique Microsoft a déclaré que des pirates informatiques ayant des liens avec la Russie, la Chine et l'Iran, tentent d'espionner des personnalités clés impliquées dans les élections américaines. En ce qui concerne l'Iran, le groupe iranien Phosphorus a tenté sans succès d'accéder aux comptes des fonctionnaires de la Maison Blanche et du personnel de campagne de M. Trump entre mai et juin de cette année. L'Iran, dont le président Hassan Rouhani est ici en photo, a rejeté les allégations selon lesquelles il aurait choisi un camp aux élections américaines Un porte-parole du ministère iranien des affaires étrangères a qualifié le rapport de Microsoft de \"grotesque\". \"L'Iran ne se préoccupe pas de savoir qui va occuper la Maison Blanche\", a déclaré Saeed Khatibzadeh.\" Un rapport sur les efforts d'influence iranienne au début de l'année du Conseil Atlantique a caractérisé l'Iran comme étant concentré sur la promotion d'un programme national, comme sa tentative de suprématie régionale. \"Presque tout le contenu diffusé par les efforts d'influence numérique de l'Iran est directement lié à sa vision du monde ou à des objectifs spécifiques de politique étrangère. Par conséquent, il est plus facile d'identifier les opérations de l'Iran que celles d'autres acteurs comme la Russie, dont le contenu est plus susceptible d'être politiquement agnostique\", a-t-il déclaré. Que disent les candidats ? L'Iran n'occupe pas une place aussi importante que la Russie ou la Chine dans les élections américaines, que ce soit en termes d'influence possible ou de politique. Le président Trump a mené une politique agressive contre l'Iran, se retirant de l'accord nucléaire et ordonnant l'assassinat du puissant général Qasem Soleimani. Joe Biden affirme que cette politique a échoué. Dans un éditorial pour CNN, il a déclaré qu'il y avait \"une façon intelligente d'être dur avec l'Iran\", en s'engageant à repousser les \"activités déstabilisatrices\" du pays tout en lui offrant \"une voie vers la diplomatie\". Élections américaines : moments-clés du débat présidentiel chaotique Trump-Biden"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52064490", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52065125", "doc1": "বরিস জনসন: ডাউনিং স্ট্রিটে 'সেলফ আইসোলেশনে' আছেন বলে জানানো হয়েছে। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, মি. জনসনের দেহে জ্বর এবং কাশিসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের 'মৃদু উপসর্গ ' দেখা দিয়েছে, এবং তিনি ডাউনিং স্ট্রিটেই আইসোলেশনে অর্থাৎ সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকবেন। তবে করোনাইরাস সংকট মোকাবিলায় ব্রিটেনের সরকারের প্রয়াসের নেতৃত্ব তিনিই দেবেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়। তবে বিবিসির সংবাদদাতা নিক ইয়ার্ডলি জানাচ্ছেন, মি. জনসন দায়িত্ব পালনে অক্ষম হবার মতো অসুস্থ হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র‍্যাব দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে মি. জনসনের কাছাকাছি দেখা গেছে সরকারের এমন আরো কতজনকে এখন আইসোলেশনে যেতে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক টুইট বার্তায় মি. জনসন বলেন, \"গত ২৪ ঘন্টায় আমার দেহে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে।\" এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইংল্যান্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইটির ব্যক্তিগত পরামর্শে ৫৫ বছর বয়স্ক মি. জনসন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করান। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের কর্মীরা ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটেই এই টেস্ট করানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই মি. জনসনকে সবশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায়। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কথা জানালেন। তবে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তার সরকারের কতজন সদস্যকে আইসোলেশনে যেতে হতে পারে তা স্পষ্ট করা হয় নি। বুধবার পার্লামেন্টে মি. জনসনের পাশে বসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সংক্রমিত মি. জনসনের ঘোষণার কিছু পরই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক বার্তায় জানান, তিনিও কোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। তিনি জানান, তার দেহেও মৃদু উপসর্গ দেখা য���চ্ছে। তিনি স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে আছেন, এবং বাড়ি থেকে কাজ করবেন। ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬শরও বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং ৫৭৮ জন মারা গেছেন। ব্রিটেনের যেসব বিজ্ঞানী করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে গবেষণা করছেন তারা সরকারগুলোকে হুঁশিয়ার করে বলছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে হলে তাদের অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে, তাই নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ছে বাংলাদেশে আরো ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশে, দু'জন চিকিৎসক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এই গবেষণায় বলা হয়েছে, রোগীদের পরীক্ষা করা, তাদের আলাদা করে ফেলা এবং সামাজিকভাবে মানুষকে কিছুদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখতে না পারলে ব্যাপক হারে প্রাণহানি ঘটবে। তারা সতর্ক করছেন যে উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে পরিবারের আকার বড় এবং তাতে বয়োবৃদ্ধ সদস্য রয়েছেন, সেখানে এই মহামারির ফল হবে বিরাট এক বিপর্যয়। করোনাভাইরাস সংকট সামাল দিতে ব্রিটিশ সরকার অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের নতুন করে কাজে যোগ দিতে বলছে। তাদের বলা হচ্ছে, তারা পূর্ণকালীন অথবা চাইলে স্বল্প মেয়াদে চাকরিতে ফিরতে পারেন। যারা অবসরে যাওয়ার মুখে রয়েছেন, তাদেরকে চাকরিতে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেই এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক খবরে বরা হযেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অথবা আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহে লন্ডন পুলিশের ২০ শতাংশ সদস্য ঘরে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।", "doc2": "M. Johnson présente de légers symptômes et s'isolera de lui-même à Downing Street, après avoir été testé par le personnel du NHS. \"Il a été testé pour le coronavirus sur les conseils personnels du médecin en chef de l'Angleterre, le professeur Chris Whitty\", selon un communiqué. A lire aussi: La pollution diminue avec la propagation du coronavirus Un infirmier raconte la crise du coronavirus en Italie Un alcool censé guérir du coronavirus fait plusieurs morts en Iran \"Il sera toujours en charge de la gestion de la crise par le gouvernement\", a ajouté le communiqué. Dans un tweet, M. Johnson a déclaré \"qu'au cours des dernières 24 heures, j'ai développé de légers symptômes et j'ai été testé positif au coronavirus. Je m'isole maintenant, mais je continuerai à diriger la riposte du gouvernement par vidéoconférence pendant que nous combattons ce virus. \"Ensemble, nous vaincrons ce virus.\" A lire aussi: Alpha Condé : de la Féanf à Amoulanfé Marini Naturals: l'entreprise de soins capillaires pour les Africains Le rite de la secte Kanungu en Ouganda qui a fait 700 morts M. Johnson a été vu pour la dernière fois jeudi soir alors qu'il applaudissait devant le 10 Downing Street , dans le cadre d'un geste national de remerciement au personnel du NHS. Il y a plus de 11 600 cas confirmés de coronavirus au Royaume-Uni, et 578 personnes sont décédées. Cette annonce intervient après que le Prince de Galles a lui aussi été testé positif au virus en début de semaine. Le Prince Charles, 71 ans, a présenté des symptômes légers \"mais reste par ailleurs en bonne santé\", a déclaré un porte-parole. A voir aussi: c"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51321473", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51275469", "doc1": "বেইজিং বিমানবন্দরে যাত্রীরা প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক পরেন। \"চীনে কী হচ্ছে সেটার জন্য এই ঘোষণা দেয়া হয়নি বরং অন্যান্য দেশে যা ঘটছে সেটাই এই ঘোষণার মূল কারণ, \" ডব্লিউএইচও- এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন। উদ্বেগ রয়েছে যে এই ভাইরাস দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের বলেছে তারা যেন চীনে ভ্রমণ করতে না যায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর চার স্তরের সতর্কতা জারি করেছে - এর আগে আমেরিকানদের চীনে ভ্রমণের বিষয়টি \"পুনর্বিবেচনা\" করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে যে চীনে যেসব মার্কিন নাগরিক আছে তারা যেন সতর্ক থাকেন। চীনে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২১৩ জনের। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে, অন্যান্য ১৮টি দেশে আরও ৯৮জন মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে চীনের বাইরে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি। চীনের বাইরের দেশের যতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগ চীনের উহার শহরে ছিলেন, যেখান থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তবে জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষে মানুষে-ভাইরাস সংক্রমণের আটটি ঘটনা ঘটেছে। ডব্লিউএইচও- এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস আরও পড়তে পারেন: কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস 'উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিমান প্রস্তুত' যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ড. টেড্রোস ভাইরাসটিকে একটি \"অভূতপূর্ব প্রাদুর্ভাব\" হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যাকে গিয়ে প্রতিক্রিয়াও \"অভূতপূর্ব\"। তিনি চীনা কর্তৃপক্ষের \"অসাধারণ পদক্ষেপ\" গ্রহণের প্রশংসা করেন এবং বলেছেন যে চীনে বাণিজ্য বা ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করার কোনও কারণ নেই। \"একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলি, এই ঘোষণাটি চীনের প্রতি অবিশ্বাস বা অনাস্থার জন্য নয়,\" তিনি বলেন। তবে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বা ফ্লাইট বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল, আইকা, স্টারবাকস এবং টেসলার মতো সংস্থাগুলি । তারা তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে বা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এই ভাইরাস যদি এমন একটি দেশে প্রবেশ করে যাদের এমন প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার সক্ষমতা নেই, তখন কী হবে? অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে শনাক্ত করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির দেখভাল করার সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। আশঙ্কা হল সেসব দেশে এই ভাইরাস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু সময়ের জন্য বিষয়টি নজরে নাও পড়তে পারে। মনে রাখবেন এটি এমন একটি রোগ যা কেবল গত মাসে উদ্ভূত হয়েছিল - এবং ইতিমধ্যে চীনের প্রায় ১০ হাজার জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়- যা ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব- সেখান থেকে বোঝা যায় যে এইরকম প্রাদুর্ভাব দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর ওপর কত ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। নভেল করোনাভাইরাস যদি এই জায়গাগুলিতে উল্লেখযোগ্য হারে ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অবিশ্বাস্য রকমভাবে কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে নেই - আক্রান্ত হওয়ার ৯৯% ঘটনাই ঘটেছে চীনে। এবং ডব্লিউএইচও এতোটুকু নিশ্চিত হতে পারছে যে দেশটি সেখানকার এই প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে ডব্লিউএইচও নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় তাদের নজরদারি চালাতে পারবে। যেন তাদের রোগ নির্ণয় করার পদ্ধতি জোরদার করা যায় - এবং এ ধরণের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুত করা যায়। বর্তমানে যেখানে যেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে তার একটি মানচিত্র। এই ঘোষণাটি কতটা অস্বাভাবিক? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগেও পাঁচবার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কোন রোগ খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মুখে পড়লে এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। বিশেষ করে যদি এই প্রাদুর্ভাবের এমন বড় কোন ঘটনা ঘটে যা বৈশ্বিক উদ্বেগের সৃষ্টি করে। সোয়াইন ফ্লু, ২০০৯ এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান ভাইরাসটি ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। পোলিও, ২০১৪ ২০১২ সালে পোলিও প্রায় নির্মূলের পর্যায়ে চলে গেলেও ২০১৩ সালে পোলিওর সংখ্যা আবার বেড়ে যায়। জিকা, ২০১৬ আমেরিকা অঞ্চলে জিকা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরে ডব্লিউএইচও ২০১৬ সালে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ইবোলা, ২০১৪ এবং ২০১৯ পশ্চিম আফ্রিকাতে প্রায় ৩০ হাজার লোক সংক্রামিত হওয়ায় এবং ১১,০০০ মানুষ এই ইবোলায় প্রাণ হারানোর কারণে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে আগস্টে। যা ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ডিআর কঙ্গোতে এই প্রাদুর্ভাব পুনরায় ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিম আফ্রিকাতে ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে সেটি ধরতে সময় লেগেছিল। চীন কীভাবে এই মহামারী মোকাবিলা করছে? তিব্বতে একজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হল এই ভাইরাস চীনের মূল ভূখণ্ড প্রতিটি অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন অনুযায়ী ৯,৬৯২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত হয়েছে। প্রায় সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশে। এজন্য সেখানে সবাইকে একপ্রকার আটক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ছয় কোটি মানুষের এই প্রদেশটির উহান শহর থেকে এই প্রাদুর্ভাবের শুরু হয়। শহরটিকে চারিদিক থেকে কার্যকরভাবে আটকে রাখা হয়েছে এবং চীন ভাইরাসটির বিস্তার রোধে পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। হুবেইতে থাকা মানুষদের বলা হয়েছে তারা যেন ঘরের ভেতরে থেকেই সব ধরণের কাজ করেন। যতক্ষণ না পরিস্থিতি তাদের ফিরে আসার জন্য নিরাপদ হচ্ছে। এই ভাইরাসটি চীনের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে, যেটা কিনা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম,। কেননা অনেক দেশ ইতিমধ্যে তাদের নাগরিকদের খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া চীনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিচ্ছে। বিমানের ভেতরে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। অন্যান্য দেশ কীভাবে সাড়া দিচ্ছে? উহান থেকে কয়েক শতাধিক বিদেশী নাগরিককে বের করে আনার কাজ চলছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ড- এই বের করে আনা মানুষদের থেকে সংক্রমন এড়াতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য তাদের আলাদা করে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ১৪ দিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হবে, তাদের কেউ আক্রান্ত কিনা বোঝার জন্য। অস্ট্রেলিয়া তাদের মূল ভূখণ্ড থেকে ২,০০০ কিলোমিটার (১,২০০ মাইল) দূরে ক্রিসমাস দ্বীপের একটি আশ্রয় শিবিরে এই ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের আলাদা করে রাখার পরিকল্পনা করছে। ওই শিবিরটি আশ্রয় প্রত্যাশিদের রাখার জন্য ব্যবহৃত হ��়। অন্যান্য সাম্প্রতিক ঘটনা: ইতালি রোমে দু'জন চীনা পর্যটক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে চীনে যাওয়ার ফ্লাইট স্থগিত করে ইতালি। এর আগে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে ৬০০০ যাত্রীর নামার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রেপ্রথম কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে , শিকাগোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস সংক্রমণের খবরটি ওই রাজ্য থেকে জানা যায়। প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৭২ ঘন্টার জন্য তাদেরকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আলাদা করে রাখা হয়েছে। রাশিয়া রাশিয়া, তাদের পূর্বদিকে চীনের সাথে ৪,৩০০ কিলোমিটার (২.৬৭০ মাইল) সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপান জাপানের দুটি ফ্লাইট ইতিমধ্যে টোকিওতে অবতরণ করেছে। জাপান এখন চীনের জন্য তাদের সংক্রামক রোগের পরামর্শের স্তর বাড়িয়েছে। ফ্রান্স প্রায় ২৫০জন ফরাসি নাগরিককে উহান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ভারত ভারত ভাইরাসটির প্রথম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে - দক্ষিণে কেরালা রাজ্যের এক ছাত্র যিনি উহান শহরে পড়াশোনা করতেন, তার শরীরে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। ইসরায়েল চীনের সাথে সমস্ত ফ্লাইট সংযোগ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল। পাপুয়া নিউ গিনি পাপুয়া নিউ গিনি, \"এশিয়ান বন্দর\" থেকে সমস্ত ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।", "doc2": "Le nombre de cas d'un nouveau coronavirus mortel est passé à plus de 800 en Chine continentale. L'OMS qualifie à présent la menace d'\"élevée\" à l'international et non plus de \"modérée\", admettant avoir fait une \"erreur de formulation\" dans ses précédents rapports. Elle avait auparavant annoncé que le risque était \"très élevé en Chine, élevé au niveau régional et modéré au niveau international\". L'organisation précise qu'il ne s'agit pas d'une réévaluation. \"Cela ne veut absolument pas dire que nous avons changé notre évaluation du risque, mais cette erreur s'est glissée\" dans les rapports de situation, a expliqué une porte-parole de l'OMS. L'OMS a rendu publics six rapports de situation depuis le début de la crise. Coronavirus en Chine: risques de mutation, contagion, prévention A partir du troisième, le 23 janvier, elle a établi une évaluation du risque. Dans son sixième rapport de situation, diffusé dans la nuit de dimanche à lundi, l'OMS a corrigé son analyse, assurant que son \"évaluation du risque (...) n'a pas changé (...) : très élevé en Chine, élevé au niveau régional et élevé au niveau mondial\". Cette correction ne change pas le fait que l'OMS ne considère pas que l'épidémie constitue une \"urgence de santé publique de portée internationale\". L'OMS n'a jusqu'ici utilisé ce terme que pour de rares cas d'épidémies requérant une réaction mondiale vigoureuse, dont la grippe porcine H1N1 en 2009, le virus Zika en 2016 et la fièvre Ebola, qui a touché une partie de l'Afrique de l'Ouest de 2014 à 2016 et la République démocratique du Congo depuis 2018."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56895554", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56890394", "doc1": "নাদিন পার (ডানে) ও তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোরাইয়া দীন। গত ১৩ই এপ্রিল তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করেন এক ঘোষণা দিয়ে। \"আমি একজন বৌদ্ধ এবং আমি আমার জীবনে বৌদ্ধ দর্শন মেনে চলার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করি\" - টুইটারে এক বার্তায় লেখেন তিনি। \"একথা বলার পরেও জানাতে চাই, আমি আমার মুসলিম ভাই ও বোনদের সাথে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য অপেক্ষা করছি। এটাই হবে আমার জীবনে প্রথম রোজা রাখা - সুতরাং আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।\" তার এই টুইটের পর দিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয় - এবং তখন থেকে মি. জয়াবিক্রমে দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত আছেন। তিনি শ্রীলংকার দক্ষিণাঞ্চলীয় ওয়েলিগামা শহরের আরবান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। শ্রীলংকা একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং এবার রমজান যেদিন থেকে শুরু হয়েছে - সেদিনই আবার দেশটির সিনহালা ও তামিল জনগোষ্ঠী তাদের নববর্ষ পালন করছে। কিন্তু শ্রীলংকার এই বহু-ধর্মবিশ্বাসের সমাজে একটা বড় আঘাত লাগে দু'বছর আগে - যখন ইসলামপন্থী জঙ্গিরা ইস্টারের দিন কয়েকটি গির্জায় আত্মঘাতী আক্রমণ চালায়। এতে প্রায় ২৭০ জন মানুষ নিহত হয়। মি. জয়াবিক্রমে বলছিলেন, তিনি যে একমাসব্যাপী একটি ইসলামী আচার পালন করছেন এর একটা লক্ষ্য হলো, সেই আক্রমণের পর দেশে যে মুসলিম-বিরোধী মনোভাব জেগে উঠেছে - তার মোকাবিলা করা। মুসলিম বন্ধুদের সাথে ইফতার করছেন রেহান জয়াবিক্রমে রেহান জয়াবিক্রমের টুইটার ফিডে তার রোজা রাখার ঘোষণার পর তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রচুর মন্তব্য-জবাব পড়েছে। তবে এতে আরো প্রকাশ পেয়েছে যে একজন অমুসলিম হিসেবে রমজান পালন যে তিনিই প্রথম করছেন তা মোটেও নয়। শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে থাকেন ম্যারিয়ান ডেভিড - যিনি পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি জানালেন, তিনি বেশ কিছু কাল ধরেই এটা করে আসছেন। \"আমি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং আমিও রমজানের সময় রোজা রাখি। এর ফলে আমার মনে একটা দারুণ স্পষ্টতা, সচেতনতা, সহমর্মিতা এবং শৃঙ্খলা আসে। আশা করি মি. জয়াবিক্রমে যেন ভালোভাবেই এটা করতে পারেন\" - বলেন তিনি। অনুরাধা কে হেরাথ হচ্ছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক মহাপরিচালক। তিনি বলছেন, তিনিও একবার রমজান মাস পালন করেছেন। \"অনেক দিন আগে আমি যখন মোরাতুয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, তখন আমিও একবার রোজা রেখেছিলাম\" - টুইটারে লেখেন অনুরাধা। \"আমার বন্ধু সিফান আমাকে অনেক ভোরে জাগিয়ে দিতো খাওয়ার জন্য। বিকেল বেলা লেকচারের ফাঁকে রোজা ভাঙার সময় সে আমার সাথে তার হালকা খাবার ভাগ করে নিতো। আমি আশা করি আপনার (জয়াবিক্রমে) এ অভিজ্ঞতাটা চমৎকার লাগবে।\" বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেহান জয়াবিক্রমে বলছিলেন, \"আমাদের দেশের কিছু নেতা যে বর্ণবাদকে উস্কে দিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ হিসেবেই আমি এটা করার চিন্তা করি।\" \"রোজা রাখার অর্থ এই নয় যে আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমি বর্ণবাদের প্রতিবাদ করছি\" - বলেন জয়াবিক্রমে। ক্যাথলিক ম্যারিয়ান ডেভিড গত ১৫ বছর ধরে রোজা রাখছেন বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, ইস্টার সানডের আক্রমণের পর থেকে শ্রীলংকায় মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দানব হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে। শ্রীলংকার জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশই বৌদ্ধ। বাকিরা হিন্দু, মুসলিম ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান। \"আমি যখন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দেখাই যে তাদের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে আমাদের মমত্ববোধ আছে এটা তাদের একটা নিরাপত্তার বার্তা দেয়\" - বলেন তিনি। রেহান জয়াবিক্রমের কিছু সমালোচক অভিযোগ করেছেন যে এর উদ্দেশ্য মুসলিমদের ভোট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এর জবাবে মি. জয়াবিক্রমে টুইটারে দেয়া তার এক সমর্থকের বার্তা উদ্ধৃত করেন, যাতে বলা হয়, ধর্মীয় সম্প্রীতি উৎসাহিত করে ভোট পাওয়াটা ঘৃণা সৃষ্টির চেয়ে অনেক ভালো। অন্যদের খাওয়ানো সাংবাদিক ম্যারিয়ান ডেভিড - যিনি একজন ক্যাথলিক - গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রমজানের রোজা রেখে আসছেন। তিনি বলছেন, এ সময়টাকে তিনি ব্যবহার করেন তার মনসংযোগ এবং সত্যিকারের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার জন্য। \"কি খাবো তা নিয়ে সার্বক্ষণিক চিন্তা, খাদ্যের জন্য মনোযোগ অন্যদিকে চলে যাওয়া, এবং অকারণে একটু পর পর খাওয়া - এগুলো থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায় উপবাস করার ফলে। এটা দিনটাকে একটা শৃঙ্খলার ভেতর নিয়ে আসে।\" তিনি মনে করেন এই রোজা তার মনঃসংযোগকে শাণিত করে এবং নিজেকে অনেক স্বাস্থ্যবান মনে হয়। নাদিন পার সাত বছর ধরে রোজা রাখছেন বিবিসিকে তিনি বলেন, \"যারা জীবনমান ও চাকরির কারণে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করছেন - তাদের জন্য দিনের বেলা না খেয়ে থাকাটা বিরাট কোন ত্যাগ নয়।\" \"যে মানুষরা কায়িক শ্রম করেন বা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাইরে কাজ করেন, যাদের উন্নত বা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অর্থ নেই - তাদের জন্য এই সময়টা সবচেয়ে কষ্টকর।\" তার মতে, রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শ্রী���ংকায় যাদের একবেলার খাবার জোটাতে কষ্ট করতে হয় - তাদের কথা চিন্তা করা। তিনি জোর দিয়ে বলছেন, দান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। \"আমার মনে হয় উপবাস করার পাশাপাশি যতটা পারা যায় দান করা, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের খাওয়ানো, এবং তাদের রোজা রাখতে সহায়তা করাটা সমানভাবে প্রয়োজনীয়।\" সংহতি পৃথিবীর অন্য প্রান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা নাদিন পার। তিনিও আরেকজন অমুসলিম যিনি রমজান পালন করেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টান - এবং তাকে রমজানের কথা জানিয়েছিলেন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী একজন মুসলিম নারী। ম্যারিয়ানের বাড়িতে ইফতারের আয়োজন \"এটা আমার মুসলিম বন্ধুদের সাথে সংহতি প্রকাশের একটা উপায়, তা ছাড়া যীশুর অনুসারী হিসেবে আমার নিজের ধর্মবিশ্বাসেরও একটি বহিঃপ্রকাশ। নাদিন একজন লেখক, ব্যবসা প্রশিক্ষক এবং একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি থাকেন মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যাণ্ড র‍্যাপিডসে। \"গত সাত বছর ধরে পানি পানের বিধিনিষেধটির ক্ষেত্রে একটা রফা করে আমি রমজানের উপবাসের নিয়ম মেনে চলছি। তখন আমি সকালের খাবার খাই সূর্যোদয়ের আগে আর সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত সবরকম খাওয়া থেকে বিরত থাকি।\" তিনি বলছেন, এটা তার কাছে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির বন্ধুদের সাথে সেতুবন্ধনের শামিল। নাদিনের মতে মানবতা সবক্ষেত্রেই সমান। \"ইচ্ছাকৃত শারীরিক সংযমের ফলে একটা আধ্যাত্মিক সত্য উপলব্ধি হতে পারে - এই ভাবনায় বছরের একটা সময় পানাহার থেকে দূরে থাকা, এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা কতটা পরস্পরের সাথে যুক্ত। আমি সেটাই উদযাপন করি।\" সবার সাথে মিলিত হবার সময় শ্রীলংকার ম্যারিয়ান ডেভিড বলছেন, এটা শুধুই ত্যাগ বা শৃঙ্খলার সময় নয়। এটা সবার সাথে সময় কাটানো এবং প্রিয়জনদের সাথে উদযাপনেরও সময়। \"আমরা যখন বাইরে যাই , বন্ধু বা পরিবার নিয়ে একসাথে রোজা ভাঙার জন্য বসি তখন এটা একটা ডিনার পার্টির মতই লাগে- শুধু মদ্যপান ছাড়া। আমরা নতুন নতুন খাবার চেখে দেখি - অনেক মজা করি, যদিও খাওয়ার পরিমাণ কিছুদিন বাদেই অনেকটা কমে যায়। \" \"তবে আপনি সত্যি সত্যি যে জিনিসটার অভাব অনুভব করবেন তা হলো পানি- বিশেষ করে এই আবহাওয়ায়। তবে এর সুফল - এই ত্যাগের চাইতে অনেক বেশি। প্রথম দিকে আমি পানির অভাবটাই বোধ করতাম। বাকি সবকিছুই সহজ, যদি আপনার এটা করার সংকল্প থাকে। \" নাদিনের জন্য এই উপবাস এখন তার আধ্যাত্মিক জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। নাদিন পার একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান - যিনি মনে করেন রোজা রেখে তিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্য অনুভব করেন। \"যারা ক্লান্ত এবং উত্তর খুঁজছেন - তাদের জন্য এটা চাই। যদি আমরা সবসময়ই আমাদের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টায় থাকি, আমরা হয়তো পবিত্র মুহূর্ত বা স্থানগুলো হারাতে পারি। যা স্বয়ংক্রিয় তার মধ্যে ঢুকে যাওয়া এবং ঈশ্বরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করার কথা ভুলে যাওয়াটা খুবই সহজ।\" তিনি মনে করেন, খাদ্য ও পানি ছাড়া থাকার ফলে তার ধর্মবিশ্বাস এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গী পেয়েছে। তার মতে: \"আমরা যখন আমাদের প্রয়োজনকে অতিক্রম করে দেখতে শিখি তখন আমাদের চাহিদাগুলো অন্যরকম হয়ে যায় - আমরা ঈশ্বরকে অনুভব করি।\" সহজ নয় অবশ্য রেহান জয়াবিক্রমের জন্য এই নতুন নিরীক্ষা খুব সহজ হয়নি। \"আমি ভোর চারটায় উঠে কিছু খেজুর, দই এবং ফল খেয়েছি। তার পর সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কিছুই খাইনি। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, নতুন এই অভিজ্ঞতার পর তার দিন শেষে নিজেকে বেশ সতেজ লেগেছে। কিন্তু পুরো এক মাস ধরে তিনি এটা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তার সন্দেহ আছে। \"যতদিন পারি আমি চালিয়ে যাবো\" - বলছিলেন এই বৌদ্ধ রাজনীতিবিদ । তবে তিনি সমবেদনার সাথেই বলছেন, \"পানি পান না করে থাকাটা সত্যি কষ্টকর।\"", "doc2": "Nadyne Parr (D) et Soraya Deen, \"Je suis bouddhiste et je fais de mon mieux pour suivre la philosophie bouddhiste\", écrit-il sur Twitter. \"Ceci étant dit, je suis impatient avec mes frères et sœurs musulmans de jeûner pendant le mois sacré du Ramadan. Ce sera ma première fois, alors souhaitez-moi bonne chance\". Il est président du conseil urbain de la ville de Weligama, dans le sud du Sri Lanka, et depuis le début du Ramadan le 14 avril, il s'abstient de manger et de boire pendant la journée. Par pure coïncidence, les musulmans du Sri Lanka, un pays principalement bouddhiste, ont commencé cette année leur jeûne le même jour que le nouvel an pour les communautés cinghalaises et tamoules. Mais la société multiconfessionnelle du Sri Lanka a subi un choc, il y a près de deux ans, lorsque des militants islamistes ont perpétré des attentats suicides contre des églises lors des célébrations de Pâques, tuant près de 270 personnes. Rehaan Jayawickreme (deuxième à gauche) termine le jeûne de la journée avec des amis musulmans Contre le racisme \"J'ai pensé faire cela comme une marque de protestation contre le racisme promu par certains dirigeants de notre pays\", déclare Rehan Jayawickreme. \"Non pas que je sois converti à l'islam, mais comme une protestation contre le racisme.\" Il dit à la BBC que la communauté musulmane minoritaire du Sri Lanka était diabolisée depuis les attentats du dimanche de Pâques. Près de 70 % de la population du Sri Lanka est bouddhiste. Le reste est principalement composé d'hindous, de musulmans et de catholiques. Lire aussi \"Quand je montre aux musulmans que, en tant que majorité, nous nous soucions d'eux, je propose de leur offrir un sens, un sentiment de sécurité. Et de leur montrer que nous nous soucions d'eux\". Certains de ses détracteurs ont accusé Rehan Jayawickreme de simplement courir après les votes musulmans. En réponse, le politicien se souvient d'un commentaire laissé par l'un de ses partisans sur Twitter : \"Il est bien préférable d'obtenir des votes en promouvant l'harmonie religieuse que de créer de la haine.\" \"Nourrir les autres\" La journaliste Marianne David, catholique, observe le jeûne du Ramadan depuis plus de 15 ans La journaliste Marianne David, catholique, observe le jeûne du Ramadan depuis plus de 15 ans. Elle dit qu'elle utilise cette période pour se recentrer et réfléchir aux choses qui comptent vraiment. \"Le jeûne élimine en grande partie le processus incessant de penser à quoi manger, d'être distrait par la nourriture et de manger sans but de temps en temps simplement parce que l'on est paresseux ou tenté. Il apporte plus de discipline et d'ordre à la journée\". Elle croit que le rituel aiguise sa concentration et la fait se sentir en meilleure santé. \"Ce n'est pas un énorme sacrifice de jeûner pendant la journée pour ceux qui bénéficient déjà de certains privilèges en termes de niveau de vie et de travail\", déclare-t-elle à la BBC. \"C'est plus difficile pour les gens qui font du travail manuel ou qui travaillent à l'extérieur dans cette chaleur et ceux qui n'ont pas d'argent pour manger de la nourriture saine pendant cette période\". Pour elle, un aspect important du Ramadan est de penser à ceux qui ne peuvent pas facilement se permettre un repas au Sri Lanka. Donner est important, affirme-t-elle. \"Je pense que ce qui est également nécessaire en s'abstenant est de faire un don, de nourrir d'autres moins privilégiés et de leur permettre d'observer le jeûne en répondant à leurs besoins.\" Le dîner de Marianne David après le jeûne Solidarité À l'autre bout du monde, Nadyne Parr, des États-Unis, est une autre non-musulmane qui observe le Ramadan. Chrétienne fervente, elle y a été introduite par l'intermédiaire de sa meilleure amie, une femme musulmane. \"C'est un acte de solidarité avec mes amis musulmans bien-aimés ainsi qu'une pratique régulière de l'expression de ma propre foi, étant un disciple de Jésus, lorsque je choisis de jeûner pendant le Ramadan\". Nadyne est écrivaine, coach commerciale et enseignante à Grand Rapids, dans l'État du Michigan. \"Cela fait un moment maintenant, mais cela fait sept ans, avec les restrictions d'eau, que je respecte étroitement les directives traditionnelles de jeûne du Ramadan… prendre le petit-déjeuner avant le lever du soleil et m'abstenir de tous les aliments jusqu'après le coucher du soleil\", dit-elle. En fin de compte, l'humanité occupe un terrain plat. S'abstenir de manger pendant une saison, qu'une vérité spirituelle puisse être révélée dans un acte physique intentionnel de contrainte, nous rappelle à tous à quel point nous sommes connectés. Je célèbre ça\". Nadnye Parr observe le Ramadan depuis sept ans Un moment de convivialité De retour au Sri Lanka, Marianne David aime souligner \"ce n'est pas seulement une question de sacrifice et de discipline. C'est aussi un moment de convivialité et de fête avec les proches\". \"Lorsque nous sortons ou accueillons des amis ou de la famille pour le jeûne, cela ressemble toujours à un dîner, sauf sans alcool\", dit-elle. \"Nous essayons de nouveaux aliments et nous nous amusons vraiment, même si la quantité que l'on peut manger diminue significativement après quelques jours. \"Ce qui vous manque vraiment, c'est l'eau, surtout par ce temps, mais les avantages l'emportent largement sur le sacrifice. Depuis la première fois où j'ai commencé à jeûner, je n'ai vraiment manqué que de l'eau potable - tout le reste est facile à faire une fois que vous avez décidé et faites-le avec un but\". Nadyne, une chrétienne pratiquante, dit que le jeûne avec des musulmans l'aide à se sentir plus proche de Dieu Pour Nadyne, le jeûne est devenu une partie importante de sa vie spirituelle. \"Je veux cela pour tous ceux qui sont fatigués et qui ont besoin de réponses\", dit-elle. \"Quand nous cherchons à satisfaire un appétit tout le temps, nous pouvons manquer des moments sacrés, des espaces sacrés. Il devient plus facile de passer en mode automatique et d'oublier notre dépendance totale et totale à Dieu\". Elle croit que le fait de se passer de nourriture et d'eau donne à sa foi une nouvelle perspective. \"Nous voyons au-delà de nos besoins. Nous avons nos besoins redéfinis, nous faisons l'expérience de Dieu\". Pas facile Les fidèles musulmans sri-lankais portant des masques faciaux prient en respectant la distanciation sociale dans une mosquée de Colombo Mais pour Rehan Jayawickreme, la nouvelle expérience n'a pas été aussi simple. \"Je me suis réveillé à 4 heures du matin et j'ai pris des dattes, du yaourt et des fruits pour le petit-déjeuner. Je n'ai rien eu avant 18h30\", a-t-il déclaré à la BBC. Il dit que la nouvelle expérience lui a permis de se sentir frais à la fin de la journée, mais il a également eu des doutes sur la possibilité de la vivre pendant tout le mois. \"Je continuerai aussi longtemps que possible\", dit le politicien bouddhiste. Mais il révèle avec sympathie, \"il est très difficile de ne pas boire d'eau\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51385418", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51388296", "doc1": "বিকল্প সব কিছু জীবাণুমুক্ত থাকার নিশ্��য়তা দেয়না এর উদ্দেশ্য ছিলো দুটি—প্রথম ভাইরাসের সাথে লড়াই আর দ্বিতীয়ত মানুষকে দেখানো রহস্যময় নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গণপরিবহনে অনেক সময় যাত্রীরা না বুঝেই পরিচ্ছন্ন আসনে বসে পড়তো এবং পরে দেখা যেতো তার ট্রাউজার ধবধবে সাদা। বিকল্প এমন অনেক আইডিয়া দেখা যাচ্ছে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন কারণ কর্তৃপক্ষ এক কোটিরও বেশি মানুষের শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে এবং লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। শহরের আটকেপড়া অধিবাসীরা এখন মহামারীর সাথে খাপ খাওয়াতে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা শুরু করেছ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাস: 'ত্রুটি ও ঘাটতি' স্বীকার করলো চীন সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই নিজের সুরক্ষা মুখের মাস্ক চীনে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। জনসমাগম বেশি এমন জায়গায় জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে, মেকআপ টিক রাখতে কিংবা দূষন থেকে মুক্ত থাকতে এটি বহুল ব্যবহৃত। অনলাইনে লটারি করে নিতে হচ্ছে মুখের মাস্ক তাই এবারের মহামারীর চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এটি বাজারে পাওয়া যাবেনা সেটি অবাক করার মতো কোনো বিষয় নয়। এগুলো এখন বিক্রি হতে পারে হট কেকের মতো যদিও ভাইরাস প্রতিরোধে এগুলো কতটা কার্যকর সে সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে শুধু মাস্ক যথেষ্ট নয়- উদাহরণস্বরূপ হাত ধোয়াটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশীদেরও ওপর দেয়া হচ্ছে নানা বিধি নিষেধ। একটি পরিবার থেকে একজন পাঠানোর অনুমতি আছে বিশেষ প্রয়োজনে। যারা যাচ্ছে তাদের তথ্যও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কিছু ভবনের লিফটে টুথপিক দেয়া হচ্ছে বাটন চাপার জন্য ডেলিভারি সার্ভিস গুলোও নতুন পন্থা বের করেছে। তারা লকার ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সরাসরি সাক্ষাত এড়ানোর জন্য। মুখে মাষ্ক সর্বত্র ভবনের ভেতরে লিফটগুলো টিসু বা টুথপিক রাখা হচ্ছে এবং এগুলোর জন্য অন্যদের সাথে যোগাযোগ কম করার অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে বিয়ে শাদীতেও চীনা জুটিগুলোর বিয়ের জন্য ০২-০২-২০২০ ছিলে বিশেষ দিন। তবে বেইজিং ছাড়া অন্যত্র কর্তৃপক্ষ বড় জমায়েত এড়াতে বিয়ে রেজিস্ট্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে সেদিন সিচুয়ান প্রদেশে ৫দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে যেটি উহানের এক হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে। মানুষজন তখন দ্বিধান্বিত ছিলো যে ঘরেই থাকবো ও ভবন ধ্বসে মরবে কিনা নাকি বাইরে গিয়ে করোনাভাইরাসের মুখে পড়বে। তবে শো মাস্ট গো অন- এই চেতনায় আটকে পড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাদের সম্পর্ককে নিয়ে গেছে অনলাইনে। চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলছে পহেলা ফেব্রুয়ারির পর এক কোটি বিশ লাখ শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণ করেছে। তবে বিজ্ঞানীরা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলছে সার্সের চেয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আশংকা কম। কিন্তু যখন গবেষকরা চেষ্টা করছেন নতুন ভ্যাকসিনের জন্য তখন আটকে পড়া মানুষ নিজের মতো করেই সংকট মোকাবেলায় বের করছে সমাধান।", "doc2": "Tous les dispositifs de protection de fortune ne sont pas totalement efficaces... encore moins sûrs C'était tant pour lutter contre le virus que pour montrer au public que l'on faisait quelque chose contre cette nouvelle maladie mystérieuse. Les navetteurs, inconscients, se sont assis sur des sièges fraîchement nettoyés, pour ensuite repartir avec des pantalons décolorés. Cette fois-ci, les choses sont différentes. Alors que les autorités ont mis en quarantaine une ville entière de 11 millions d'habitants et ont conseillé à tout le monde de rester à l'intérieur, les résidents bloqués ont commencé à réfléchir de manière créative à la manière de faire face à une épidémie. Quelques articles sur le coronavirus: Le Coronavirus, une bénédiction pour les animaux sauvages ? Coronavirus : à quel point devrions-nous nous inquiéter ? Coronavirus en Chine: risques de mutation, contagion, prévention Autodéfense Si vous pensiez que les masques humains étaient difficiles à trouver... Les masques sont toujours une denrée très prisée en Chine. Ils filtrent la pollution, gardent votre maquillage intact et éloignent les germes nuisibles dans les lieux surpeuplés. Il n'est donc pas surprenant qu'ils se soient vendus en Chine et dans les pays voisins quelques jours après que l'épidémie a fait la une des journaux. À Xiamen, une ville située à 1000 km au sud de l'épicentre de l'épidémie de coronavirus, les autorités ont lancé une loterie en ligne pour empêcher les gens de former de longues files d'attente pour les masques. Lire aussi: Le Coronavirus \"une urgence mondiale\" selon l'OMS Coronavirus en Chine : deux villes en quarantaine \"Je n'aurais jamais pensé que ma première fois à la loterie serait pour un masque ! Pas pour une maison, une voiture ou des billets de sport, mais pour un masque facial\", a commenté un habitant de Weibo. Ils se vendent peut-être comme des petits pains, mais l'efficacité des masques pour prévenir la transmission du virus est incertaine. Selon l'OMS, le port de masques ne suffit pas - il est plus important de se laver les mains, par exemple. Les quartiers mettent en place des barrages improvisés. Un homme, qui a un flair pour le théâtre, s'est même déguisé en général du IIIe siècle avec un panneau indiquant \"Les étrangers ne passeront pas\". Chaque famille est autorisée à envoyer un membre pour les besoins essentiels. Leurs coordonnées sont consignées dans le procès-verbal. Les services de livraison se sont rapidement adaptés à la situation et ont commencé à promouvoir l'utilisation de casiers de ramassage et de lieux de dépôt afin d'éviter les contacts en face à face. À l'intérieur des bâtiments, des cure-dents et des mouchoirs sont apparus dans les ascenseurs, incitant les résidents à les utiliser pour minimiser les contacts. A lire aussi: La Chine accuse les Etats-Unis de répandre la \"panique\" face au coronavirus Coronavirus : le Maroc rapatrie plusieurs de ses ressortissants de Wuhan Dans certains bâtiments, des cure-dents ont été fournis pour minimiser les contacts dans les ascenceurs. Vies en attente Epargnez-vous une pensée aux romantiques. Le dimanche 2 février 2020 (02-02-2020) a été un jour incroyablement propice pour se marier pour de nombreux couples chinois. Sauf que le Bureau municipal des affaires civiles de Pékin a annoncé qu'il n'enregistrerait aucun mariage pour éviter les grands rassemblements publics. Pour mettre les choses en perspective, le même jour, un tremblement de terre d'une magnitude de 5,1 a frappé la province du Sichuan, à quelque 1 000 km à l'ouest de Wuhan. Les habitants de cette province étaient déchirés entre rester à l'intérieur et risquer d'être ensevelis sous des bâtiments qui s'effondrent, ou sortir et risquer d'attraper le coronavirus. Heureusement, aucun décès n'a été signalé et aucun bâtiment ne s'est effondré. Le journal d'État chinois de langue anglaise Global Times a rapporté qu'au 1er février, plus de 12 millions d'élèves suivaient des cours en ligne. Les scientifiques qui travaillent à la compréhension du virus affirment que toutes les données disponibles suggèrent que le virus a une mortalité inférieure à celle du Sars. Mais alors que les chercheurs se précipitent pour mettre au point un vaccin, les habitants mis en quarantaine trouvent leurs propres solutions aux problèmes posés par le virus. A suivre aussi, comment la Chine a construit un hôpital en seulement 10 jours, pour lutter contre le coronavirus. Coronavirus : la Chine construit un hôpital en 10 jours"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54661873", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-54646680", "doc1": "কমালা হ্যারিস কমালা হ্যারিসের মনোনয়নের বিষয়টা থেকে বেরিয়ে এসেছে কয়েক দশক ধরে আমেরিকায় রাজনীতিতে আসা নারীদের কী ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে এবং কীভাবে এক্ষেত্রে অবস্থার পরিবর্তন আসছে। বিষয়য়টি বিশ্লেষণ করেছেন রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান উইমেন অ্যান্ড পলিটিক্সের পরিচালক ডেবি ওয়ালশ্। রাগ না প্রকাশের কৌশল রাজনীতি করতে আসা নারীদের নিজের দৃঢ়তা প্রকাশ করা আর আগ্রাসী আচরণ করা - এ দুয়ের মধ্যকার সূক্ষ্ম পার্থক্যটা বুঝতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের অবচেতনে নারী আর পুরুষকে বৈষম্যের চোখে দেখার যে সংস্কৃতি রয়েছে, তাতে একজন পুরুষের যে আচরণকে 'আত্মবিশ্বাসী' হিসাবে দেখা হবে, সেখানে একজন নারীর একই আচরণকে 'ক্ষমতার জাহির' হিসাবে গণ্য করা হবে। আবার সেই নারী যদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হন, এই বৈষম্যের ক্ষেত্রে বর্ণের ব্যাপারটাও যোগ হয়। আমেরিকায় \"অ্যাংরি ব্ল্যাক উওম্যান\" বা \"রাগী কৃষ্ণাঙ্গ নারী\" বলে একটা কথা প্রচলিত আছে, যার সাথে একটা বর্ণ সম্প্রদায়ের নারীদের যুক্ত করা হয়েছে। উনবিংশ শতকে এই প্রবচন চালু হয়েছিল, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের অনারীসুলভ, অযৌক্তিক এবং কঠিন হিসাবে তুলে ধরতে। মিস ওয়ালশ্ বলছেন: \"একটা অভিযোগ আছে যে, নারীরা প্রেসিডেন্ট বা ভাইস-প্রেসিডেন্ট হবার মত শক্ত মনের নন, তাদের যথেষ্ট দৃঢ়তা নেই। কিন্তু চরিত্রের দৃঢ়তা বা আপনার কঠিন হবার ক্ষমতা আপনি কীভাবে দেখাবেন, যদি আপনার রাগ আপনি প্রকাশ করতে না পারেন?\" তিনি মনে করেন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট টিভি বিতর্কের সময় কমালা হ্যারিস দলের মত তুলে ধরেছেন বেশ সাফল্যের সাথেই। কিন্তু তার মতে, কোন কোন ক্ষেত্রে মনে হয়েছে তিনি যথেষ্ট শক্ত অবস্থ��ন নেননি। যদিও অবশ্য, তিনি মনে করেন, তাকে কথা বলতে বাধা দেয়ার সময় মিস হ্যারিস যেভাবে বিনীত সুরে তার উত্তর দিয়েছেন, তা ছিল \"দুর্দান্ত\"। নারীদের কথা বলতে না দিয়ে তাদের কথার ওপর পুরুষদের কথা চাপিয়ে দেবার অভিজ্ঞতা যেসব নারীর হয়েছে, তারা কমালা হ্যারিসের অনুভূতি পুরোই উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলে মিস ওয়ালশের মত। নারী কি নেতৃত্বের যোগ্য? কিছু বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেখাবেন, কোন নারী যোগ্য কিনা তা প্রমাণ করতে হলে তাকে প্রচারণার সময় পুরুষের থেকে আরও ভাল করতে হবে। ভোটারদের কাছে প্রার্থীর লিঙ্গ কোন বিবেচ্য বিষয় না হলেও নারী প্রার্থীদের যোগ্যতার বাড়তি প্রমাণ দিতে হবে। একজন পুরুষ প্রার্থী যোগ্য সেটা মানুষ ধরেই নেয়, কিন্তু নারী প্রার্থীকে তার প্রমাণ দেখাতে হয়। অগাস্ট মাসে ইকোনমিস্ট সাময়িকী ও ইউগভ-এর চালানো যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি. পেন্স, মিস হ্যারিসের চেয়ে পছন্দের বিচারে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক চতুর্থাংশ আমেরিকান বলেন মিস হ্যারিস সম্পর্কে তাদের ধারণা স্পষ্ট নয়, আর মি. পেন্স সম্পর্কে একই মতামত দেন মাত্র ১৪%। কিন্তু বিতর্কের পর, বেশিরভাগ ভোটার বলেন তাদের মনে হয়েছে মিস হ্যারিস জয়ী হয়েছেন। কিন্তু যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিতে হলে কে বেশি যোগ্য, তখন জরিপের ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন চিত্র। ইউগভ জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আমেরিকান - ৫৬%- মনে করেন, মি. ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে মি. পেন্স সেই দায়িত্ব পালনে সুযোগ্য হবেন। এ ব্যাপারে মিস হ্যারিসকে যোগ্য মনে করেছেন ৫০% আমেরিকান। নিরপেক্ষ ভোটারদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৫৩% মি. পেন্সের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখেন, আর ৪৪% মিস হ্যারিসের যোগ্যতার ওপর আস্থাশীল। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ হয়ত মনে করতে পারেন যে, বর্তমানে ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণে এমন একজনের থেকে বেশি যোগ্য হবেন, যিনি বর্তমানে প্রথম মেয়াদে একজন সেনেটারের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর পক্ষে যারা, তারা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন যে, রাজনীতিতে পুরুষের তুলনায় নারীদের আরও বেশি যোগ্যতার পরীক্��া দিতে হয়। আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে আরও পড়তে পারেন: 'মোমালা প্রশ্ন' ডেমোক্রাটিক রানিং মেটের পদ যখন মিস কমালা হ্যারিস গ্রহণ করেন, তখন তিনি বলেছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদটি পেলে দারুণ হবে, \"কিন্তু 'মোমালা'র পদ তার জন্য খুবই অর্থবহ\"। তার সৎ-ছেলেরা তাকে ডাকে 'মোমালা' বলে। তিনি যখন আমেরিকার জনগণের কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছিলেন, তিনি প্রায়ই তার পারিবারিক জীবন ও পারিবারিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দুই ছেলের সৎ-মা। তার নিজের মা তাকে বড় করেছেন সিঙ্গল-মা হিসাবে। তার পরিবারও মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিবার, আর সেভাবেই নিজেকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেন মিস হ্যারিস। মিস ওয়ালশ্ ব্যাখ্যা করছেন, আমেরিকায় রাজনীতিতে জড়িত পুরুষরা সবসময়ই তাদের পরিবারের একটা চিত্র তুলে ধরেন, কারণ সেটা \"সবসময়ই একটা বাড়তি মূল্য যোগ করে\"। রাজনীতিতে আসা নারীরাও খুবই সম্প্রতি তাদের পরিবারের কথা তুলে ধরতে শুরু করেছেন। তারাও তাদের পারিবারিক অভিজ্ঞতাকে যোগ্যতার একটা মাপকাঠি হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন। তিনি বলছেন, এটা \"নারীদের জন্য একটা বিভ্রান্তিকর পরিচিতি\", কারণ কোন নারীর সন্তান না থাকলে, বা তাদের কথা নারীরা উল্লেখ না করলে প্রশ্ন ওঠে \"চুপ কেন?\" \"এরপর তাদের কথা যদি আপনি বলেন, এবং তারা ছোট হলে, তখন প্রশ্ন তোলা হয়- আপনি রাজনীতি করলে কে তাদের দেখাশোনা করবে?\" কিন্তু পুরুষদের বেলায়, তারা যখন পরিবারের কথা বলেন, তখন তাকে \"সুন্দর পারিবারিক জীবনের একজন ব্যক্তি\" হিসাবে দেখা হয়। \"কেউ তাকে জিজ্ঞেস করে না আপনার কাছে রাজনীতি বড় না পরিবার বড়?\" বা কেউ ভাবেন না কে তার সন্তানের দেখাশোনার দায়িত্ব নেবে? যদি আমরা ২০০৮-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দিকে তাকাই, দেখব - নারী প্রার্থী সারা পেলিনের বেলায় তখনও তার পরিবার নিয়ে কীভাবে বিতর্ক তোলা হয়েছিল। রিপাবলিকান প্রার্থী সারা পেলিন সে সময় ছিলেন আলাস্কার গর্ভনর। তখন মা হিসাবে পরিবারে তার দায়িত্ব নিয়ে শ্যেন দৃষ্টি রেখেছিল এবং ব্যাপক কাটাছেঁড়া করেছিল সংবাদ মাধ্যম এবং কিছু ডেমোক্রাট সদস্য। সেসময় মিসেস পেলিনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে এক শিশু সন্তানের ডাউন সিনড্রম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। জিনগত সমস্যা নিয়ে জন্মানো তার শিশু সন্তানকে অবহেলা করে তিনি রাজনীতিতে নামছেন কিনা তা নিয়ে সমালোচকরা ব��স্তর প্রশ্ন তুলেছিলেন। আরও পড়তে ক্লিক করুন ২০০৮ সালে রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী সারা পেলিন তবে নারীদের প্রতি এই চিরন্তন ধ্যানধারণার নিশ্চিতভাবে বদল হচ্ছে, যদিও একজন নারী রাজনীতিক মাতৃত্বের সাথে তার যোগাযোগের বিষয়টা থেকে এখনও মুক্তি পাওয়ার অবস্থায় পৌঁছতে পারেননি। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টে তার মনোনয়ন বিষয়ক শুনানির সময় এমি কনি ব্যারেট যে সাত বছরের সন্তানের মা, সেটাকে রিপাবলিকানরা ইতিবাচক আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তারা বলেছেন, মা হবার সুবাদে তার যে অভিজ্ঞতা তাতে তিনি তুলনামূলকভাবে একজন আরও ভাল বিচারক হবেন। মিস ওয়ালশ্ বলছেন যে সেই বিচারে মিস হ্যারিস দুজন প্রাপ্ত-বয়স্ক ছেলের মা হিসাবে একটা অনন্য অবস্থান দাবি করতে পারেন। এছাড়াও তিনি বলছেন ভোটাররা সবসময়ই চায় তাদের প্রার্থী তাদের মতই একজন মানুষ হোক- তারও তাদের মতই একটা নিজস্ব জীবন থাকুক। পুরুষরা কমালা হ্যারিসকে নিয়ে (এবং তাকে) কী বলেন? জঘন্য, কট্টর, অসম্মান আচরণের, একজন রাক্ষসী: জো বাইডেনের রানিং মেট হবার পর মিস কমালা হ্যারিসকে এইভাবেই বর্ণনা করেছিলেন মি. ট্রাম্প। মিস হ্যারিসের প্রতিপক্ষ মি. পেন্স অবশ্য এধরনের অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেননি, তবে বিতর্কের সময় মি. পেন্সের মনোভাবের কিছুটা আঁচ পাওয়া গেছে। বিতর্কের সময় একে অপরকে বাধা দেয়া অবশ্যই রাজনৈতিক বিতর্কের একটা অঙ্গ। কিন্তু মিস ওয়ালশ্ বলছেন, মি. পেন্স এই বাধা দেবার কৌশল কাজে লাগিয়ে ভোটারদের বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন যে তাদের মধ্যে তফাৎ কোথায়- একজন পুরুষ, একজন নারী। \"তিনি এটা যেভাবে করেছেন সেটা হলো - বিনীতভাবে তাকে অগ্রাহ্য করার মধ্যে দিয়ে,\" বলছেন মিস ওয়ালশ্। \"যেমন - বিতর্কের সময় এরকম একটা ধারণা তিনি দেবার চেষ্টা করেছেন যে- মেয়েরা এরকম কথা বলেই থাকে, মেয়েরা মুখ খুললে থামতে জানে না!\" তাহলে বদল হচ্ছে কোথায়? মিস ওয়ালশ্ বলছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নারীরা এগিয়ে আসছেন আরও বেশি সংখ্যায়। নারীরা তাদের প্রার্থিতা নিয়ে, তাদের যোগত্যা নিয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন। \"তারা 'আমাকে কীধরনের আচরণ করতে হবে' এটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করছেন না, তারা নিজেরা যা, সেভাবেই নিজেদের প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরছেন,\" তিনি বলছেন। \"২০১৮ সালে আমরা দেখেছি বেশিরভাগ নারী প্রার্থী এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, যেসব বিষয় নিয়ে আগে তাদের কথা বলতে নিরুৎসাহিত করা হতো।\" যেমন নারী প্রার্থীদের পরামর্শ দেয়া হতো, তার ছোট বাচ্চা আছে একথা না বলতে, অথবা ঘর-ছাড়া অবস্থায় থাকার অভিজ্ঞতা হয়ে থাকলে সে প্রসঙ্গ না তুলতে বলা হতো, অথবা কোন নারী আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গিয়ে থাকলে, সে বিষয়েও তাকে মুখ না খোলার পরামর্শ দেয়া হতো। দু‌হাজার সতের সালে আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী কনডোলিৎসা রাইস নারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, \"অন্য কারও বর্ণবাদ বা লিঙ্গবৈষ্যমের সমস্যাকে নিজের সমস্যা বলে ভাববেন না।\" কনডোলিৎসা রাইস \"নারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই: একটা ঘরে যখন ঢুকবেন, তখন কেউ যদি আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করে, মাথা পেতে তা মেনে নেবেন না, রুখে দাঁড়াবেন। নিজের কথা নিজে বলবেন,\" নেতৃত্ব বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। \"আপনার যদি কখনও মনে হয়, আপনার যেটা প্রাপ্য ছিল, আসলেই আপনাকে তার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাহলে তার প্রতিকারের অনেক পথ আছে। সেইসব পথে আপনার প্রাপ্য বুঝে নিতে হবে।\" মিস ওয়ালশ্ বলছেন, আমেরিকায় সময়ের সিঁড়ি পার হয়ে এসেছেন নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হওয়া বিভিন্ন নারী প্রার্থী- জেরাল্ডিন ফেরারো থেকে শুরু করে সারা পেলিন এবং হিলারি ক্লিন্টন এবং ২০২০র নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ, ভারতীয় নারী কমালা হ্যারিস। নির্বাচনে এবং রাজনীতিতে এটাকে নারীদের অগ্রযাত্রা বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।", "doc2": "Voici comment sa nomination met en lumière les problèmes auxquels les femmes en politique sont confrontées depuis des décennies - et comment les choses changent - avec une analyse de Debbie Walsh, directrice du Center for American Women and Politics de l'université Rutgers.L'art de ne part être en colère Les femmes en politiques doivent franchir une fine ligne entre l'affirmation de soi et l'agressivité. Selon plusieurs études, les préjugés sexistes inconscients peuvent faire passer les femmes pour condescendantes alors que leurs homologues masculins pourraient être considérés comme étant confiants. Pour certaines femmes, ces préjugés sexistes sont aggravés par le racisme. Et aux Etats Unis, l'étiquette de \" femme noire en colère\" est un stéréotype insidieux qui date depuis plusieurs années. C'est un phénomène apparu au 19e siècle et qui identifie la femme noire comme étant peu féminine, irrationnelle et insolente. D'après Ms Walsh: \" les femmes sont accusées de ne pas être assez forte et dures pour être présidente ou vice présidentes, mais en même temps comment peut- on démontrer sa force sans sans que ce ne soit pas perçue comme de la colère?\" Elle estime que Mme Harris a fait un bon travail en restant en ligne de front pendant le débat des vice présidents, toutefois elle ajoute qu'à certains moments Harris a donné l'impression de se retenir bien aue ses réponses polies aux multiples interruptions aient été appréciées et ont parlé à toutes femmes ayant vécu les mêmes expériences. Est - elle capable de diriger? Certains analystes estiment que les femmes doivent faire leurs preuves en campagne contrairement aux hommes; même quand la question du genre n'est pas la première préoccupation des électeurs. Là ou les gens assument une compétence pour les hommes, les femmes doivent la démontrer. Les sondages réalisés par Economist/YouGov en Aout dernier, montre que le vice président en exercice avait une faible avance sur Mme Harris. Un quart des personnes interrogées ont déclaré qu'ils n'étaient pas certains de ce qu'ils pensaient de Mme Harris, et 14 % ont dit la même chose de M. Pence. Apres le débat, la plupart des électeurs ont estimé que Mme Harris avait gagné. Mais lorsqu'on leur a demandé qui serait le mieux placé pour prendre la présidence, certains sondages ont semblé un peu différents. Les sondages YouGov ont montré que la plupart des américains; soit 56% des personnes interrogées, pensent que Mr Pence est le mieux placé pour assumer la présidence si Donald Trump ne peut pas le faire, 50% d'autres pensent la même chose de Kamala Harris. Parmi les principaux électeurs indépendants, 53% ont affirmé avoir confiance dans les capacités de M. Pence, contre 44% pour Mme Harris. Etre 'Momala' Lorsqu'elle a accepté son poste de colistière démocrate, Mme Harris a déclaré que le titre de vice-présidente serait formidable, \"mais c'est le momala qui compte le plus\". En se présentant aux États-Unis, Mme Harris a souvent mis en avant sa vie de famille (elle est mère de deux beaux-enfants) et ses valeurs. La façon dont elle a été élevée par une mère célibataire et sa famille recomposée ont été des points clés dans la façon dont Mme Harris se présente comme candidate. Pour les hommes en politique, explique Mme Walsh, mettre en avant leur famille a \"toujours été une valeur ajoutée\". Mais ce n'est que récemment que les femmes en politique ont également commencé à utiliser leur expérience comme qualification. C'est une \"énigme pour les femmes\", dit-elle, car si elles n'ont pas d'enfants ou si elles n'en parlent pas, cela peut soulever des questions de \"pourquoi pas ? \"Et puis si vous en parlez et qu'ils sont jeunes, alors les gens demanderont qui va s'occuper de vos enfants ? D'un autre côté, lorsqu'un homme parle de sa famille, cela contribue à dépeindre le portrait d'un \"père de famille\", mais \"personne ne remet en question [ses] choix et priorités\", ni ne se demande qui s'occupe de ses enfants. Il suffit de se rappeler de la campagne à la vice-présidence de Sarah Palin en 2008 pour comprendre les discussions sur ce débat familial. Le gouverneur de l'Alaska de l'époque a vu ses choix parentaux examinés par les médias et certains démocrates. À l'époque, Mme Palin avait cinq enfants, dont un bébé atteint du syndrome de Down. Plusieurs américains se sont demandés si elle ne négligeait pas sa famille pour se présenter aux élections. L'ancienne candidate au poste de vice président en 2008 Sarah Palin C'est un stéréotype qui a changé, c'est sûr - même si les femmes en politique ne peuvent pas tout à fait échapper aux débats sur la maternité. Plus récemment, lors de l'audience de nomination à la Cour suprême, les républicains ont fait valoir le statut de Amy Coney Barrett, mère de sept enfants comme une expérience qui fera d'elle une meilleure juge. Mme Walsh note également que Mme Harris est dans une position unique en tant que mère de beaux-enfants adultes. Et bien sûr, les électeurs veulent voir leurs candidats comme des êtres humains ayant une vie propre. \"Je pense donc qu'elle suit ce qui est en fait normal.\" Que disent les hommes d'elle et comment s'adressent - ils à elle? Méchante, radicale, irrespectueuse, monstre: ce sont les mots utilisés par Trump pour décrire Ms Harris depuis sa nomination comme colistière de Biden. Son rival Mr Pence n'a pas proféré d'insultes, mais nous avons tiré quelques enseignements du débat des vice présidents. En ce qui concerne les interruptions lors du débat, certaines peuvent être liés aux discussions elles mêmes. Mais pour Mme Walsh, c'est le fait que M. Pence puisse utiliser une telle technique qui met en évidence les différences. \"Il le fait de telle sorte qu'il vous ignore poliment\", dit-elle. \"Si une femme devait faire la même chose, une façon d'ignorer son interlocuteur , il y aurait tout un autre débat du genre elle ne pouvait pas se taire.\" Comment les choses évoluent- elles? Mme Walsh affirme que depuis 2018, année où le nombre de femmes se présentant aux élections a augmenté, les candidates sont plus à l'aise avec l'authenticité. \"Elles ne réfléchissent pas trop à la manière dont elles doivent se comporter, mais elles essaient d'être authentiques\", dit-elle. \"Nous l'avons vu en 2018, avec de nombreux candidats qui ont évoqué des sujets jusque là tabous chez les femmes\". Il s'agit notamment de parler des jeunes enfants, de partager leur expérience du sans-abris ou de parler de leurs propres problèmes financiers. En 2017, l'ancienne secrétaire d'Etat américaine Condoleezza Rice a également appelé les femmes à ne pas laisser \"le racisme ou le sexisme de quelqu'un d'autre devenir leur problème\". Condoleezza Rice, ancienne secrétaire d'Etat américain entre 2005 et 2009 \"C'est ce que nous devons dire aux femmes : Quand vous entrez dans une pièce, si quelqu'un essaie de vous rabaisser, ne l'acceptez pas. Parlez simplement pour vous\", a-t-elle déclaré lors d'un sommet de dirigeants de KPMG. \"Si on vous refuse vraiment quelque chose que vous pensez que vous auriez dû obtenir, il y a une multitude de recours - et vous devriez les considérer\". Mme Walsh a déclaré que de Geraldine Ferraro à Sarah Palin et Hillary Clinton, chaque candidature s'est appuyée sur le passé. Et maintenant, avec la probabilité d'avoir une femme indienne, noire comme candidate à la vice-présidence, \"c'est un énorme changement dans le monde\", dit-elle. \"Quand les femmes voient quelqu'un comme Kamala Harris être choisie comme candidate au poste de vice-président et peut-être comme le vice-président, cela change leurs mentalités par rapport à ce qu'elles pourraient devenir dans la vie\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51005064", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51003331", "doc1": "'আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা' - ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমাদের খুবই ব্যয়বহুল একটি বিমানঘাঁটি সেখানে আছে। এটা বানাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এটার ক্ষতিপূরণ যতক্ষণ না দিচ্ছে তারা, ততক্ষণ আমরা সেখান থেকে যাচ্ছি না', সাংবাদিকদের বলেন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে বাগদাদ সফররত ইরানী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইরান 'চরম প্রতিশোধ' নেবার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে। ৬২ বছর বয়স্ক সোলেইমানি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানী সামরিক কর্মসূচীর প্রধান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে তিনি ছিলেন সন্ত্রাসী। নিহত জেনারেলের মৃতদেহ ইরানে নেবার পর সেখানে কয়েকদিনব্যাপী শেষকৃত্য চলছে। সোমবার সকালে তেহরানের রাস্তায় বহু মানুষ নেমে আসে শোক প্রকাশ করবার জন্য। সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে মনে করা হতো নিহত জেনারেল সোলেইমানির নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্সের নতুন প্রধান মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করার শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বেতারে এসমাইল কানি বলেন, \"আমরা শহীদ সোলেইমানির দেখানো পথে সমান শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি...এবং আমাদের জন্য একমাত্র ক্ষতিপূরণ হবে এই অঞ্চল থেকে আমেরিকার অপসারণ\"। কী ধরণের অবরোধের হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প? প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেনে বসে মি. ট্রাম্প বলেন, ইরাক যদি সেখান থেকে শত্রুতামূলকভাবে মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে বলে, \"তাহলে আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা। এই অবরোধের কাছে ইরানের উপর আরোপ করা অবরোধকে ম্লান বলে মনে হবে\"। কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৈরি করা আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে ৫ হাজার আমেরিকান সৈন্য এখন ইরাকে রয়েছে। র��িবার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরতি টানে কোয়ালিশন। একই দিনে ইরাকি এমপিরা পার্লামেন্টে একটি রেজোল্যুশন পাশ করে, যেখানে বিদেশি সৈন্যদের ইরাক ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। আরো খবর: ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপরে মুখোশধারীদের হামলা চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে পিচ শুকানোর চেষ্টা বিমানের মুনাফা: দেনা শোধ না করে লাভ কতটা যৌক্তিক?", "doc2": "Depuis la mort dans un raid américain vendredi à Bagdad du puissant général iranien Qassem Soleimani, le monde entier redoute une escalade. \"S'ils nous demandent effectivement de partir, si nous ne le faisons pas sur une base très amicale, nous leur imposerons des sanctions comme ils n'en ont jamais vu auparavant\", a déclaré le président américain. Pour Donald Trump, la base aérienne américaine en Irak a coûté des milliards de dollars pour que les troupes se retirent sous la contraintes. \"Nous ne partirons pas s'ils ne nous remboursent pas\", a-t-il expliqué. Quelque 5.200 soldats américains sont actuellement stationnés en Irak. Le président américain a par ailleurs une nouvelle menacé Téhéran de \"représailles majeures\" en cas d'attaques iraniennes contre des installations américaines au Moyen-Orient en réponse à l'assassinat par les Etats-Unis du général iranien Qassem Soleimani. Lire aussi: Un général iranien de haut rang tué par les Etats-Unis en Irak Pourquoi tuer Soleimani maintenant et que se passe-t-il ensuite? En effet, dans une interview accordée dimanche à CNN, un conseiller du guide suprême iranien, le général de brigade Hossein Dehghan a assuré que la réponse de l'Iran à l'assassinat du général Qassem Soleimani \"sera assurément militaire et contre des sites militaires\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43849676", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43850377", "doc1": "উত্তর কোরিয়া হয়তো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার যন্ত্র তৈরির প্রতি মনোনিবেশ করতে চায় নেতা কিম জং-আনের যে বিবৃতি কেসিএনএ প্রচার করেছে, সেখানে তিনি বলছেন - ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আর প্রয়োজন নেই কারণ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পারমাণবিক বোমা বহনের সক্ষমতা উত্তর কোরিয়া অর্জন করে ফেলেছে। প্রেসিডেন্ট কিম আরো বলেন, \"নর্দার্ন পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রটি তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হয়েছে, সেটির আর প্রয়োজন নেই।\" তিনি বলেন, এখন তার মূল লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির বিকাশ এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। এই ঘোষণা কিম জং আন এমন সময় দিলেন যখন খুব শীঘ্রী তিনি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। তারর প্রথম বৈঠকটি হবে এ মাসের ২৭ তারিখ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে। অন্যটি মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্তের জন্য মি কিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়া হয়তো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার যন্ত্র তৈরির প্রতি মনোনিবেশ করতে চায় কিন্তু উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্তে উল্লসিত হওয���ার কারণ কতটা? ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট এর সদস্য এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পাণ্ডা বিবিসিকে বলেছেন - উত্তর কোরিয়ার ইতিহাস এবং তার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে, আশাবাদে রাশ টানতে হবে। কারণ হিসাবে মি পাণ্ডা বলছেন, প্রথমত - বন্ধের যুক্তি হিসাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জনের যে কথা কথা প্রেসিডেন্ট কিম দাবি করেছেন, সেটা একবারে অবিশ্বাস করার মত কথা নয়। ভারত ও পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে মি পাণ্ডা বলেন, ১৯৯৮ পর্যন্ত এই দুই দেশের প্রত্যেকে ছয়টি করে পারমাণবিক পরীক্ষার পর তারা আর কোনো পরীক্ষা করেনি এবং সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে এরা পারমাণবিক শক্তিধর। \"ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া একইভাবে নিশ্চিত হয়েছে তারা অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে।\" আরও পড়ুন: ‘হিন্দুত্ববাদী অভিযুক্তরা অব্যহতি পাচ্ছেন কেন?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক শহর ধ্বংসের ক্ষমতা মি পাণ্ডার মতে, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম এবং ষষ্ট পারমাণবিক পরীক্ষা দুটো ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ তে উত্তর কোরিয়া দাবি করে তারা যে কোনো পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ছোড়া যায় এমন আকারের এবং ওজনের পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পেরেছে। ধারণা করা হয়, ঐ বোমার ক্ষমতা নাগাসাকিতে আমেরিকার ফেলা বোমার চেয়ে তিনগুণ শক্তিধর। ২০১৭ তে পরীক্ষা করা বোমার শক্তি আরো অনেক বেশি। তেসরা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সালে পরীক্ষার পর ভূকম্পন বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীদের ধারনা হয়েছে উত্তর কোরিয়া এখন যে কোনো শহর ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে। \"তার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে মি কিম এখন নতুন আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন।\" উত্তর কোরিয়ার এই অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বতঃপ্রণোদিত, তাই যে কোনো সময় এটা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে। ১৯৯৯ সালে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থেকে ২০০৬ সালে বেরিয়ে এসেছিল। প্রেসিডেন্ট কিম বলেছেন, পারমাণবিক কর্মসূচিতে সাফল্যের পর তিনি এখন দেশের অর্থনীতির দিকে মনোনিবেশ করবেন। অঙ্কিত পাণ্ডা মনে করেন, মি কিমের এই বক্তব্য ফেলে দেওয়া যায়না। তিনি হয়তো খুব শীঘ্রি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবি শুরু করবেন। মি কিম এবং মি ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠক আগামী মা��ে উপহার - শীর্ষ বৈঠক এই ঘোষণা কিম জং আন এমন সময় দিলেন যখন তিনি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। প্রথম বৈঠকটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে, অন্যটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে। বৈঠকে দরকষাকষি না করে কেন আগেভাগে নিজ থেকে এসব নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে দিলেন কিম জং আন? মি পাণ্ডার মতে, উত্তরটি সহজ- মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে শীর্ষ বৈঠকটি মি. কিমের জন্য একটি বড় পুরষ্কার। তার বাবা বা দাদা যা পারেননি, তিনি তা করে দেখাতে চলেছেন। পারমাণবিক পরীক্ষার একটি স্থান ধ্বংস করে উত্তর কোরিয়ার যে ক্ষতি হবে, তার চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে বসে মুখোমুখি দেন-দরবার করার সুযোগের মূল্য অনেক বড়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া বা আমেরিকা চায় উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র-মুক্ত হতে হবে। কিন্তু মি কিমের শনিবারের ঘোষণায় তার কোনো ইঙ্গিতই নেই। এখন পর্যন্ত তিনি যে পারমাণবিক অস্ত্র বানিয়েছে তা ধ্বংসের বা পরিত্যাগের কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।", "doc2": "Parade militaire en Corée du Nord \"A partir du 21 avril, la Corée du Nord va cesser ses essais nucléaires et les lancements de missiles balistiques intercontinentaux\", a dit Kim Jong Un. Cette annonce intervient moins d'une semaine avant la rencontre prévue entre le dirigeant nord-coréen et le président sud-coréen Moon Jae-in. REACTIONS DANS LE MONDE Le président américain Donald Trump a immédiatement salué l'annonce de Kim Jong Un, y voyant \"une très bonne nouvelle pour la Corée du Nord et le monde\". De son côté, Séoul évoque un \"progrès significatif pour la dénucléarisation de la Péninsule coréenne, que le monde attend\". Protestation en Allemagne contre le regain de tensions entre la Corée du Nord et les Etats-Unis Même son de cloche du côté de la Chine, principal allié de Pyongyang, qui a estimé que le geste du Nord allait favoriser une dénucléarisation de la péninsule coréenne. \"La Chine pense que la décision va aider à apaiser la situation dans la péninsule coréenne et faire avancer le processus de dénucléarisation ainsi que les efforts en vue d'une solution politique\", a déclaré Lu Kang, le porte-parole du ministère des Affaires étrangères. Des Nord-coréens suivent le lancement d'un missile sur écran géant L'Union européenne a salué pour sa part \"une étape positive, attendue depuis longtemps\". La représentante de la diplomatie de l'UE, Federica Mogherini, a déclaré espérer que les prochaines rencontres entre les numéros un américain, nord et sud-coréens puissent déboucher sur \"des résultats supplémentaires, concrets\". Le chef du gouvernement japonais Shinzo Abe s'est félicité aussi de l'annonce nord-coréenne, \"mais le point important est de savoir si cette décision conduira à l'abandon complet du développement nucléaire et celui des missiles, d'une façon vérifiable et irréversible\", a-t-il dit. Son ministre de la Défense, Itsunori Onodera, s'était prononcé peu avant pour un maintien d'une pression maximum sur Pyongyang. \"Nous ne pouvons pas être satisfaits\", du fait que, selon lui, la Corée du nord n'a pas mentionné \"l'abandon de missiles balistiques de courte et moyenne portée\". Sous la direction de Kim Jong Un, Pyongyang a fait des progrès rapides dans son programme d'armements, objet de multiples sanctions aggravées de la part notamment du Conseil de sécurité de l'ONU, des Etats-Unis, de l'Union européenne et de la Corée du Sud. A lire aussi Corée du Nord: nouveau tir de missile Washington menace de \"détruire la Corée du Nord\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53524316", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53526862", "doc1": "চেংডুতে যুক্তরাষ্ট্রের ��নস্যুলেট-জেনারেল চীন জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের 'অত্যাবশ্যক প্রতিক্রিয়া' ছিল এটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ 'চুরি' করছিল। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছেই। বাণিজ্য এবং করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বেইজিংয়ের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। পাশাপাশি হংকংয়ে চীনের বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করা নিয়েও চীনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের প্রতিক্রিয়া কী? চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত 'যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া অযৌক্তিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ এবং জরুরি' পদক্ষেপ। বিবৃতিতে আরো বলা হয়: \"চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতি যেরকম, চীন তা চায় না। আর এর পুরো দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের।\" চেংডুর মার্কিন দূতাবাস ১৯৮৫ সালে স্থাপন করা হয়েছিল এবং বর্তমানে এখানে কর্মকর্তা, স্টাফ মিলিয়ে ২০০'র বেশি মানুষ কাজ করে। বিবিসি প্রতিনিধিদের মতে, স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় এই দূতাবাসটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র কেন চীনা দূতাবাস বন্ধ করলো? মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনকে জানানো হয় যে এই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে টেক্সাসের হিউস্টনের চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে। সেদিন সন্ধ্যায়ই অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তিকে হিউস্টনের ঐ ভবনের চত্বরে কাগজ পোড়াতে দেখা যায়। মাইক পম্পেও জানিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ চীন 'শুধু যে আমেরিকার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করছিল তাই নয়, ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদও চুরি করছে যার ফলে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে।' তিনি বলেন, \"আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছি যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে কী ধরণের ব্যবহার আমরা আশা করছি। আর যখন তারা তা করবে না, আমরা পদক্ষেপ নেবো।\" আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ চীনের 'আপোষের বার্তা' কেন সান ফ্রান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেটে কেন লুকিয়ে আছেন পলাতক বিজ্ঞানী বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? থামার আগে যে ক্ষতি করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশের চামড়ার বাজারে? আমার চোখে বিশ্ব: মহামারির হাত ধরে কি আসছে চীন-মার্কিন শীতল যুদ্ধ? বাণিজ্য এবং করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বেইজিংয়ের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পাঁচটি দূতাবাসের একটি ছিল টেক্সাসের হিউস্টনের দূতাবাসটি। কেন ঐ একটি দূতাবাসই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হলো, তা পরিষ্কার নয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো কারণ 'অবিশ্বাস্যরকম হাস্যকর।' চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা কেন বাড়ছে? সম্প্রতি চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, মার্কিন কর্মকর্তারা সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে যাওয়ার দায় চাপিয়েছেন চীনের ওপর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন অভিযোগ তুলেছেন যে ভাইরাসটি চীনের ল্যাবরেটরি থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যদিও তার নিজের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই বলেছেন যে ভাইরাসটি 'মানবসৃষ্ট বা জিনগতভাবে পরিবর্তিত' নয়। চীন আর যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ থেকে এক ধরণের শুল্ক যুদ্ধেও লিপ্ত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অন্যায্যভাবে বাণিজ্য পরিচালনা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরির অভিযোগ তুলেছেন। তবে বেইজিংয়ের একটি ধারণা হলো, অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ঠেকানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের কারণ হংকংয়ে চীনের জারি করা নিরাপত্তা আইন। এই আইন বাস্তবায়ন করার পর যুক্তরাষ্ট্র ঐ অঞ্চলের বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা বাতিল করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও একটি আইন প্রয়োগ করেছেন যেটি অনুযায়ী হংকংয়ে মানবাধিকার ক্ষুন্ন করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে চীনের ঘরোয়া বিষয়ে 'হস্তক্ষেপ' হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এর সমুচিত জবাব দেয়ার প্রতিজ্ঞা করে।", "doc2": "Les États-Unis auraient jusqu'à lundi pour fermer leur consulat général à Chengdu La Chine a déclaré que cette décision était une réponse à la fermeture de son consulat américain à Houston et a accusé le personnel de Chengdu de se mêler de ses affaires internes. Le secrétaire d'Etat Mike Pompeo a déclaré que la décision américaine avait été prise parce que la Chine \"volait\" la propriété intellectuelle. Les tensions se sont accrues entre les États-Unis et la Chine sur plusieurs questions clés. L'administration du président Donald Trump s'est heurtée à plusieurs reprises à Pékin au sujet du commerce et de la pandémie de coronavirus, ainsi que de l'imposition par la Chine d'une nouvelle loi de sécurité controversée à Hong Kong. La Chine a pris cette décision quelques heures après que M. Pompeo ait durci le ton lors d'un discours prononcé jeudi à la bibliothèque de l'ancien président Richard Nixon, dont la visite en Chine en 1972 a marqué le début d'une période d'amélioration des relations. \"Aujourd'hui, la Chine est de plus en plus autoritaire chez elle, et plus agressive dans son hostilité à la liberté partout ailleurs\", a déclaré M. Pompeo. \"Le monde libre doit triompher de cette nouvelle tyrannie.\" Le consulat américain à Chengdu emploie plus de 200 personnes, la majorité d'entre elles étant recrutées localement Qu'a dit la Chine ? Vendredi, le ministère chinois des affaires étrangères a déclaré qu'il allait fermer le consulat américain à Chengdu après que le personnel de ce dernier \"se soit immiscé dans les affaires intérieures de la Chine, et ait mis en danger la sécurité et les intérêts de la Chine\". Lors d'une conférence de presse, le porte-parole du ministère, Wang Wenbin, a également déclaré que la décision américaine de fermer le consulat de Houston était basée sur \"un ramassis de mensonges anti-chinois\". Il a déclaré que l'annonce faite par M. Pompeo jeudi était \"remplie de préjugés idéologiques et d'une mentalité de guerre froide\". \"Pompeo a fait un discours dans lequel il a lancé une attaque malveillante contre le Parti communiste chinois\", a déclaré M. Wang, ajoutant : \"A cela, la Chine exprime une forte indignation et une opposition résolue.\" Le ministère avait auparavant déclaré que la fermeture du consulat américain à Chengdu était une \"réponse légitime et nécessaire\" aux mesures prises par les États-Unis. \"La situation actuelle entre la Chine et les États-Unis est quelque chose que la Chine ne veut pas voir, et les États-Unis en portent toute la responsabilité\". La Chine a donné aux États-Unis jusqu'à lundi pour fermer le consulat à Chengdu, selon le rédacteur en chef du China's Global Times. La mission, établie en 1985 et comptant actuellement plus de 200 personnes - dont 150 recrutées localement - est considérée comme stratégiquement importante car elle permet aux États-Unis de recueillir des informations sur la région autonome du Tibet, où des pressions de longue date sont exercées en faveur de l'indépendance. Avec son industrie et son secteur des services en pleine expansion, Chengdu est également considérée par les États-Unis comme offrant des possibilités d'exportation de produits agricoles, de voitures et de machines. Le président américain Donald Trump et son homologue chinois Xi Jinping"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49603678", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-49605847", "doc1": "জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বিবিসিকে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর তিনি মারা গেছেন। এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যূত হন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার পর হওয়া প্রথম নির্বাচনে ১৯৮০ সালে জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট মুগাবে। ১৯৬৪ সালে রোডেশিয়ার সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকাকালীন সময়েই জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের - যেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি - প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। আরো পড়তে পারেন: গ্রেস মুগাবে: স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি 'কেবল ঈশ্বরই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে' ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রবার্ট মুগাবে রবার্ট মুগাবের উঠে আসা এবং রাজনৈতিক জীবন: ১৯২৪: রবার্ট মুগাবের জন্ম। পরে প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষকতায় ১৯৬১: ঘানার স্যালি হেফ্রনকে বিয়ে করেন ১৯৬৩: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় জানু-পিএফ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৪: বন্দিত্ব বরণ, প্রায় দশ বছর রোডেশিয়ার কারাগারে ছিলেন তিনি ১৯৮০: ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী হন, জয়লাভ করেন স্বাধীনতা উত্তর নির্বাচনে। ১৯৮১ : নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ১৯৮৭ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ১৯৯৪: প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতিগত বিদ্বেষ অবসানের অন্যতম দৃঢ় সমর্থক ১৯৯৬: গ্রেস মারুফুকে বিয়ে করেন ২০০০: গণভোটে পরাজয়। শ্বেতাঙ্গদের কৃষি খামার অধিগ্রহণ। ২০০২: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়লাভ ২০০৮: প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে যান। দ্বিতীয় দফায় সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে তার প্রতিদ্বন্ধী সরে দাঁড়ান ২০০৯: নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মর্গান সাভাঙ্গিরাইকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত ২০১১: উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যায় রবার্ট মুগাবে প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন ২০১৭: দীর্ঘদিনের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গকওয়াকে বরখাস্ত এবং এরপরই নিজ দল জানু-পিএফ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন", "doc2": "Sa famille a confirmé sa mort à la BBC. M. Mugabe suivait un traitement dans un hôpital de Singapour depuis avril. Il a été évincé lors d'un coup d'État militaire en 2017 après 37 ans au pouvoir. Les premières années au pouvoir de M. Mugabe ont été saluées en raison de son programme d'accès à la santé et à l'éducation pour la majorité des zimbabwéens défavorisés par le régime blanc de Rhodésie (ancienne colonie britannique). Cependant, ses dernières années ont été marquées par des violations des droits de l'homme, des abus et la corruption. Il a remporté la première élection du Zimbabwe après l'indépendance du pays vis-à-vis du Royaume-Uni, devenant Premier ministre en 1980. Il a aboli le poste en 1987, devenant président. Son successeur, Emmerson Mnangagwa, a exprimé sa \"plus grande tristesse\", qualifiant M. Mugabe d'\"icône de la libération\". M. Mnangagwa avait été l'adjoint de M. Mugabe avant de le remplacer. Qui était Robert Mugabe ? M. Mugabe est né le 21 février 1924 dans ce qui était alors la Rhodésie - une colonie britannique, dirigée par sa minorité blanche. Il a été emprisonné pendant plus d'une décennie sans procès après avoir critiqué le gouvernement de la Rhodésie en 1964. A lire aussi Mugabe à l'hôpital de Singapour depuis avril Robert Mugabe, fin de règne Robert Mugabe, héros révolutionnaire ou despote corrompu? En 1973, alors qu'il était encore en prison, il a été choisi comme président de l'Union nationale africaine du Zimbabwe (Zanu), dont il était membre fondateur. Une fois libéré, il s'est rendu au Mozambique, d'où il a dirigé des raids de guérilla en Rhodésie. Mais il était aussi considéré comme un habile négociateur. Des accords politiques visant à mettre fin à la crise ont abouti à l'indépendance de la nouvelle République du Zimbabwe. Grâce à sa grande visibilité dans le mouvement indépendantiste, M. Mugabe a remporté une victoire écrasante lors de la première élection dans le pays. Mais au cours de ses décennies au pouvoir, de nombreuses critiques ont commencé à pleuvoir, décrivant M. Mugabe comme une sorte de \"dictateur\". En 2000, confronté pour la première fois à une vive opposition politique, il s'est emparé de fermes appartenant à des Blancs pour réinstaller des fermiers noirs, provoquant des perturbations économiques mais renforçant sa popularité parmi ses partisans. A la même époque, les milices pro-Mugabe ont eu recours à la violence pour influencer les résultats politiques. Il a déclaré que seul Dieu pouvait le démettre de ses fonctions. Mr Mugabe's downfall came after suspicions that his wife Grace might succeed him En 2008, lorsqu'il a perdu le premier tour de l'élection présidentielle, les attaques contre l'opposition ont conduit son rival à se retirer de la course. Il a été contraint de partager le pouvoir en 2009 dans un contexte d'effondrement économique, installant son rival Morgan Tsvangirai comme premier ministre. Mais en 2017, alors qu'on craignait qu'il ne prépare sa femme Grace à lui succéder, l'armée - son alliée de longue date - s'est retournée contre le président et l'a forcé à démissionner. Les réactions à sa disparition Le vice-ministre de l'Information, M. Mutodi, du parti Zanu-PF de M. Mugabe, a déclaré à la BBC que le parti était \"très attristé\" par sa mort. \"En tant que gouvernement, nous sommes très proches des membres de la famille Mugabe\", a-t-il dit. \"C'était un homme de principe : il ne pouvait pas changer facilement ses convictions. C'est un homme qui croyait en lui-même, qui croyait en ce qu'il faisait et qui était habité par une grande conviction en ce qu'il disait\". \"C'était un homme bien\"….cependant tout le monde n'était pas d'accord, cependant. Le sénateur zimbabwéen David Coltart, que M. Mugabe a qualifié d'\"ennemi de l'État\", a déclaré que son héritage était entaché par son adhésion à la violence comme instrument politique. \"Il s'est toujours engagé dans la violence, remontant jusqu'aux années 1960... Il n'était pas Martin Luther King\", a-t-il déclaré à la BBC World Service. \"Il n'a jamais changé à cet égard.\" Mais il a reconnu qu'il y avait une autre facette de Robert Mugabe - \"un homme qui avait une grande passion pour l'éducation - et je pense qu'il s'est adouci dans ses dernières années\". \"Il a beaucoup d'affection pour lui, parce qu'il ne faut jamais oublier qu'il a été le premier dirigeant depuis la fin du règne oppressif de la minorité blanche.\" Les dates clés de la vie de Robert Mugabe 1924 : Naissance de Mugabe. Par la suite, il suit une formation d'enseignant. 1964 : Emprisonné par le gouvernement rhodésien 1980 : Gagne les élections post-indépendance 1996 : Se marie avec Grace Marufu 2000 : Référendum perdu - les milices pro-Mugabe envahissent les fermes appartenant à des Blancs et attaquent les partisans de l'opposition 2008 : Deuxième au premier tour des élections après Tsvangirai, qui se retire du second tour à la suite d'attaques contre ses partisans dans tout le pays. 2009 : Au milieu de l'effondrement économique, il nomme Tsvangirai premier ministre, qui sert dans un gouvernement d'unité nationale pendant quatre ans 2017 : Chasse son vice-président et allié de longue date, Emmerson Mnangagwa, ouvrant la voie à sa femme Grace pour lui succéder. Novembre 2017 : L'armée intervient et le force à se retirer Robert Mugabe: héros ou scélérat?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53064712", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53078469", "doc1": "ডাক্তার ওষুধের পরীক্ষা করছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্প মাত্রার স্টেরয়েড চিকিৎসা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই ওষুধ ব্যবহার করলে ভেন্টিলেটারে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমানো যাবে। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার এ�� পঞ্চমাংশ কমানো যাবে। বিশ্বে এই ওষুধ নিয়ে সর্ববৃহৎ যে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছিল এই ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়ও কাজ করবে কিনা। গবেষকরা অনুমান করছেন ব্রিটেনে যখন করোনা মহামারি শুরু হয়েছে তার প্রথম থেকেই যদি এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব হতো তাহলে পাঁচ হাজার পর্যন্ত জীবন বাঁচানো যেত। কারণ এই ওষুধ সস্তা। তারা বলছেন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ বিশালভাবে কাজে লাগতে পারে। এবং যেসব দেশ রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এটা তাদের জন্য বিশাল সুখবর। জীবন রক্ষাকারী যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। প্রতি বিশজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ১৯ জনই সুস্থ হয়ে ওঠেন যাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনই হয় না। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু কিছু রোগীর প্রয়োজন হয় অক্সিজেন চিকিৎসা অথবা কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেবার জন্য ভেন্টিলেটার লাগাতে হয় কারো কারোর। এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের জন্যই ডেক্সামেথাসোন সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ওষুধ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টায় মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন শরীরের ভেতর যে ক্ষতিগুলো হয়, এই ওষুধ ডেক্সামেথাসোন সেই ক্ষতি কিছুটা প্রশমন করতে পারবে বলে তারা পরীক্ষায় দেখেছেন। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন সেই প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় সাইটোকিন স্টর্ম যেটা প্রাণঘাতী হতে পারে। এই সাইটোকিন স্টর্ম শরীরের ভেতর ইমিউন ব্যবস্থায় এমন একটা ঝড়, যেখানে প্রতিরোধী কোষগুলো বাইরের সংক্রমণ ধ্বংস করার বদলে শরীরের সুস্থ কোষগুলোও ধ্বংস করতে শুরু করে। যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে শুরু করে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল রোগীর ওপর পরীক্ষা চালায়। তাদের ডেক্সামেথাসোন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এদের সঙ্গে তুলনা করা হয় চার হাজারের বেশি রোগীর যাদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়ন��। গবেষকরা বলছেন এরকম যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে আছেন বা যারা অক্সিজেন চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বাঁচাতে এই নতুন ওষুধ সাহায্য করবে দেখা গেছে যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫% থেকে কমে আসে ২০%। অনুসন্ধান দলের প্রধান অধ্যাপক পিটার হরবি বলেছেন: \"এখনও পর্যন্ত এটাই একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে বলে দেখা যাচ্ছে। এবং এই ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।\" প্রধান গবেষক অধ্যাপক মার্টিন ল্যানড্রে বলছেন এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ভেন্টিলেটারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এমন প্রতি আট জন রোগীর মধ্যে একজনের প্রাণ এই ওষুধ দিয়ে বাঁচানো সম্ভব। আর যেসব রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের প্রতি ২০ থেকে ২৫ জনের মধ্যে একজনের জীবন এই ওষুধে বাঁচবে। \"এই ওষুধের সুস্পষ্ট, সুস্পষ্ট সুফল আছে। এই চিকিৎসায় রোগীকে ডেক্সামেথাসোন দিতে হবে ১০দিনের জন্য। এর জন্য খরচ হবে রোগী প্রতি প্রায় ৫ পাউন্ড। আর এই ওষুধ পৃথিবীর সব দেশে পাওয়া যায়।\" অধ্যাপক ল্যানড্রে বলছেন, হাসপাতালে রোগীকে প্রয়োজন হলে এখন দেরি না করে এই ওষুধ দেয়া উচিত। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কেউ যেন এই ওষুধ বাজার থেকে কিনে ঘরে মজুত করে না রাখেন। যাদের করোনাভাইরাসের হালকা উপসর্গ দেখা দেবে, অর্থাৎ যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন কাজ করবে না। মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ওষুধ নিয়ে ট্রায়াল চালানো হচ্ছিল। যেসব ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার মধ্যে ছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও।এই ওষুধটির ওপর পরীক্ষা পরে বাতিল করে দেয়া হয়, কারণ এই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় হার্টের সমস্যা এবং অন্য প্রাণনাশক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। আরেকটি ওষুধ রেমডেসিভির, যেটি অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সেটি সেরে ওঠার সময় কিছুটা তরান্বিত করতে পারে বলে দেখা যাবার পর করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোন��ভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Le traitement stéroïdien à faible dose de dexaméthasone est une avancée majeure dans la lutte contre ce virus mortel, selon des experts britanniques. Ce médicament fait partie du plus grand essai au monde visant à tester les traitements existants pour voir s'ils sont également efficaces contre les coronavirus. Elle a permis de réduire d'un tiers le risque de décès des patients sous respirateur. Pour ceux qui sont sous oxygène, il a réduit les décès d'un cinquième. Si le médicament avait été utilisé pour traiter les patients au Royaume-Uni dès le début de la pandémie, jusqu'à 5 000 vies auraient pu être sauvées, selon les chercheurs. Et elle, pourrait être très bénéfique dans les pays pauvres où le nombre de patients atteints de Covid-19 est élevé. Le gouvernement britannique a 200 000 doses de ce médicament dans ses stocks. Il affirme aussi que le NHS mettra la dexaméthasone à la disposition des patients. Le Premier ministre Boris Johnson a déclaré qu'il y avait de bonnes raisons de célébrer \"une remarquable réalisation scientifique britannique\": \"nous avons pris des mesures pour nous assurer que nous avons suffisamment de provisions, même en cas de deuxième pic.\" Le médecin en chef pour l'Angleterre, le professeur Chris Whitty, a déclaré que cela permettrait de sauver des vies dans le monde entier. Environ 19 patients sur 20 atteints de coronavirus se rétablissent sans être admis à l'hôpital. Parmi les personnes admises, la plupart se rétablissent également mais certaines peuvent avoir besoin d'oxygène ou d'une ventilation mécanique. Et ce sont les patients à haut risque que la dexaméthasone semble aider. Le médicament est déjà utilisé pour réduire l'inflammation dans une série d'autres affections, notamment l'arthrite, l'asthme et certaines affections cutanées. Et il semble aider à stopper certains des dommages qui peuvent se produire lorsque le système immunitaire de l'organisme est surchargé lorsqu'il essaie de combattre les coronavirus. Cette réaction excessive, une tempête de cytokines, peut être mortelle. Lors de l'essai, mené par une équipe de l'université d'Oxford, environ 2 000 patients hospitalisés ont reçu de la dexaméthasone, contre plus de 4 000 qui n'en ont pas reçu. Pour les patients sous respirateur, elle réduit le risque de décès de 40 % à 28 %. Pour les patients qui ont besoin d'oxygène, elle réduit le risque de décès de 25 à 20 %. Le professeur Peter Horby, chercheur en chef a déclaré : \"C'est le seul médicament qui, jusqu'à présent, a montré qu'il réduisait la mortalité - et il la réduit de manière significative. C'est une percée majeure\". Le professeur Martin Landray, chercheur principal, a déclaré que les résultats suggéraient qu'une vie pouvait être sauvée : • tous les huit patients sous respirateur • tous les 20-25 ans traités à l'oxygène \"Il y a un avantage clair et net. Le traitement consiste en un maximum de 10 jours de dexaméthasone et coûte environ 5 livres sterling par patient\", déclare-t-il. Lire aussi \"Il en coûte donc essentiellement 35 livres pour sauver une vie. C'est un médicament qui est disponible dans le monde entier\", ajoute-t-il. Le cas échéant, les patients hospitalisés devraient maintenant en bénéficier sans délai, a déclaré le professeur Landray. Mais les gens ne devraient pas sortir et l'acheter pour l'emporter chez eux. La dexaméthasone ne semble pas aider les personnes qui présentent des symptômes plus légers de coronavirus et qui n'ont pas besoin d'aide pour respirer. L'essai , en cours depuis mars, s'est également penché sur l'hydroxychloroquine, un médicament contre le paludisme, qui a été abandonné par la suite en raison des craintes qu'il n'augmente les décès et les problèmes cardiaques. Le médicament antiviral remdesivir, qui semble réduire le temps de guérison des personnes atteintes de coronavirus, est déjà disponible sur le NHS."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45562695", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-45560377", "doc1": "শিল্পীর কল্পনায় স্পেসএক্সের বিএফআর রকেট, যেটিতে করে পর্যটকদের চাঁদে নেয়া হবে। মিস্টার মায়েযাওয়া জানিয়েছেন, তিনি চাঁদে যাওয়ার সিদ���ধান্ত নিয়েছেন। পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশে সর্বশেষ মনুষ্যবাহী রকেট গিয়েছিল ১৯৭২ সালে। স্পেসএক্স ২০২৩ সাল নাগাদ তাদের রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তবে যে রকেটে করে স্পেসএক্স এই অভিযান চালাবে, সেটিই এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। এলন মাস্ক তাই এই বলে সতর্কও করে দিয়েছেন যে, তাদের এই চন্দ্রাভিযান যে হবেই, তার শতভাগ নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না। মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার হেথোর্নে স্পেসএক্স এর সদর দফতরে তিনি এই ঘোষণা দেন। আরও পড়ুন: রকেটে চড়ে আধঘন্টায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে ভারতের বাতাস কেন দেখতে ভিন্ন জাপানি ধনকুবের মিস্টার মায়েযাওয়া গত বছর নিউ ইয়র্কে এক নিলামে দশ কোটি পনের লাখ ডলারে একটি চিত্রকর্ম কিনে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। মিস্টার মায়েযাওয়া বলছেন, তিনি চাঁদে যাবেন যে রকেটে, সেটিতে ছয় হতে আটজন শিল্পীকেও তার সহযাত্রী হতে আমন্ত্রণ জানাতে চান। এলন মাস্কের কাঁধে জাপানি ধনকুবের ইয়োসাকু মায়েযাওয়া তিনি সাংবাদিকদের বলেন, \"পৃথিবীতে ফিরে আসার পর আমি এই শিল্পীদের কিছু একটা সৃষ্টি করতে বলবো। এসব 'মাস্টারপিস' আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে উজ্জীবীত করবে। পৃথিবী থেকে এ পর্যন্ত চাঁদে গেছেন মাত্র ২৪ জন মানুষ। এদের মধ্যে ১২ জন চাঁদের মাটিতে পা রেখেছেন। চাঁদে যাওয়া মানুষদের ২৪ জনই মার্কিন নাগরিক। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র 'অ্যাপোলে ১৭' ছিল চাঁদে যাওয়া সর্বশেষ রকেট। এটি ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে চাঁদে অবতরণ করে। তবে মিস্টার মায়েযাওয়াকে নিয়ে স্পেসএক্সের যে রকেট চাঁদে যাবে, সেটি আসলে সেখানে অবতরণ করবে না। এটি চাঁদের চারপাশ দিয়ে চক্কর দেবে এবং তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।", "doc2": "Yusaku Maezawa déclare avoir acheté la centaine de billets mis en vente pour le voyage sur la Lune. Le Japonais, qui a fait fortune dans la vente de vêtements en ligne, sera donc l'un des premiers touristes qui vont fouler le sol lunaire en 2023, si tout se passe comme l'a annoncé la société américaine spécialisée dans le vol spatial. A lire aussi :Ces nouveaux venus qui révolutionnent la course spatiale Lors d'une conférence de presse donnée au siège de Space X à Los Angeles, Yusaku Maezawa a précisé qu'il avait acheté toutes les places de la fusée, qui doit en compter une centaine. Il dit vouloir emmener des artistes avec lui. \"Ils auront à créer quelque chose à leur retour sur Terre\", a-t-il déclaré tout sourire, précisant qu'il avait baptisé son projet \"Dear Moon\", \"Chère Lune\". \"Leurs chefs-d'œuvre inspireront tous les rêveurs qui sommeillent en nous\", a ajouté le milliardaire japonais, parlant des artistes qu'il va prendre en charge. Elon Musk, de SpaceX, a dévoilé, lundi, à Los Angeles, le nom de l'acquéreur du premier ticket pour le voyage sur la Lune en 2023. Yusaku Maezawa n'a pas encore choisi ses futurs accompagnateurs, qui auront le privilège d'être parmi les premiers humains à fouler le sol de la Lune depuis l'expédition Apollo en 1972. Le voyage aura lieu en 2023, à une date non encore fixée, pour une durée de 4 à 5 jours, à bord de la future fusée Big Falcon Rocket, qui comprend deux étages et mesure 118 mètres de hauteur. Le prix payé par Yusaku Maezawa n'a pas été dévoilé. Vol autour de la Lune à la fin de 2018. Elon Musk, le directeur de la technologie à SpaceX, a mis en garde les futurs voyageurs : \"Pour être clair, c'est dangereux. Ce n'est pas comme marcher ici. Cela nécessitera beaucoup d'entrainement. Et une fois que vous êtes embarqué, ce n'est pas quelque chose de sûr. Ce n'est pas comme prendre n'importe quel vol, il y a des risques…\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42685836", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-42687444", "doc1": "রোববার রাতে নিজের গলফ ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি বরং তিনি এখন সাংবাদিকদের বলছেন, \"আমি বর্ণবাদী নই। আপনারা ইন্টারভিউ করেছেন এমন সব ব্যক্তিদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে কম বর্ণবাদী\"। মূলত প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বর্ণবাদের অভিযোগ সম্পর্কিত ইস্যুতে এটিই তার প্রথম জবাব। রোববার রাতে নিজের ওয়েস্ট পাম বীচে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ ক্লাবে হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন তিনি। আগে থেকেই নানা মন্তব্যের জন্য আলোচিত সমালোচিত মিস্টার ট্রাম্প এবার বিপাকে পড়েন যখন সেনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে করা তার একটি মন্তব্যকে নিয়ে। সেখানে তিনি বলেন, \"এসব 'শিটহোল' দেশের লোকজন সবাই কেন কেন আমাদের দেশে আসছে\"? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি হোয়াইট হাউজে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দলীয় সেনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে এভাবেই হেইতি,এল সালভাডর এবং আফ্রিকান দেশগুলোকে বর্ণনা করেছেন। এই বৈঠকে তিনি সেনেটরদের সঙ্গে অভিবাসন নিয়ে কথা বলছিলেন। এরপরই এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। ডেমোক্রেট সেনেটর ডিক ডারবিন মিস্টার ট্রাম্পকে বর্ণবাদী ভাষা প্রয়োগের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে রিপাবলিকানদের তরফ থেকে। আরও পড়ুন ট্রাম্পের 'শিটহোল' শব্দটি নিয়ে সাংবাদিকদের বিড়ম্বনা ট্রাম্পের 'বর্ণবাদী মন্তব্যে' বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড়", "doc2": "Le président américain Donald Trump déclare qu'il n'est pas raciste après le tollé causé par des propos qu'il aurait tenu qualifiant certains pays d'Afrique et Haïti de pays de merde. \"Je ne suis pas raciste. Je suis la personne la moins raciste que vous n'ayez jamais interviewée\", a déclaré à des journalistes le président américain depuis son club de golf de West Palm Beach, en Floride. M. Trump a accusé dimanche ses adversaires démocrates de faire preuve de mauvaise volonté pour trouver un accord sur le programme Daca (Deferred Action for Childhood Arrival) qui a permis à 690.000 jeunes immigrés, arrivés illégalement aux Etats-Unis, d'étudier et d'y travailler en toute légalité. \"Nous sommes prêts, désireux et capables d'obtenir un accord sur le Daca\", a-t-il dit. Mais \"je ne pense pas que les démocrates veulent le conclure\", a-t-il ajouté. Le programme Daca, mis en place sous la présidence de Barack Obama, est au coeur d'un bras de fer entre le président et les démocrates qui veulent le préserver. LIRE AUSSI Trump: des décrets sur l'immigration Un conseiller de Trump démissionne Le \"Donald Trump\" sud-soudanais"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49167776", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48881664", "doc1": "শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম এবং প্রিন্সেস হায়া। শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী নেতাদের একজন। অন্যদিকে প্রিন্সেস হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের প্রাইভেট স্কুলে এবং ঘোড়দৌড়ে অলিম্পিকে অংশ নেয়া প্রতিযোগী। প্রিন্সেস হায়া কয়েক মাস আগে দুবাই থেকে পালিয়ে আসেন। বলা হচ্ছে, প্রাণনাশের আশংকায় তিনি এখন লন্ডনে লুকিয়ে আছেন। মূলত সন্তানরা কার কাছে থাকবে, তা নিয়েই লন্ডনের আদালতে এই দুজনের মধ্যে আইনি লড়াই হচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। তিনি হচ্ছেন শেখ মাখতুমের ছয় নম্বর স্ত্রী। শেখ মোহাম্মদের বয়স এখন ৭০। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে তার মোট ২৩ জন সন্তান। শেখ মোহাম্মদেরও ঘোড় দৌড় নিয়ে আগ্রহ আছে। তিনি ব্রিটেনের নামকরা একটি ঘোড়ার আস্তাবল গোডোলফিন হর্স রেসিং স্ট্যাবলের মালিক। প্রিন্সেস হায়া প্রথমে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে তিনি নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এমাসে জানা গেল যে তিনি এখন লন্ডনের কেনসিংটনে তার দশ কোটি ডলারের বেশি দামের এক বাড়িতে থাকছেন । লন্ডনের আদালতের বাইরে শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রিন্সেস হায়া এখন ব্রিটেনেই থাকতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দুবাইর শাসক যদি এখন তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, সেটা ব্রিটেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্রুদ্ধ হয়ে একটি কবিতা লেখেন। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে একজন নারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। এই কবিতা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। প্রিন্সেস হায়া কেন পালিয়ে গেলেন প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি সম্প্রতি শেখ মোহাম্মদের এক কন্যা শেখ লতিফাকে রহস্যজনকভাবে যেভাবে দুবাই ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারে কিছু বিচলিত হওয়ার মতো তথ্য জানতে পেরেছেন। তারপরই তিনি নিজে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বলা হচ্ছে প্রাণনাশের আশংকায় প্রিন্সেস হায়া এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শেখ লতিফা এক ফরাসী পুরুষের সাহায্য নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলে��� সমূদ্রপথে। কিন্তু ভারতের সশস্ত্র রক্ষীরা তাদের আটক করে আবার দুবাইর হাতে তুলে দেয়। আরও পড়ুন: দুবাই শাসকের স্ত্রী পালালেন কেন দুবাই রাজকুমারী লতিফাকে কি গুম করা হয়েছে? রাজকুমারী 'নিখোঁজ' না সংযুক্ত আরব আমিরাতেই আছেন? সেসময় এই ঘটনার সমালোচনা হলে প্রিন্সেস হায়া দুবাইর শাসকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, শেখ লতিফা দুবাইতেই নিরাপদ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন বলেছিল, শেখ লতিফাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এখন দাবি করছে, এঘটনার ব্যাপারে তিনি এখন নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এ কারণে তিনি তার স্বামীর পরিবারের দিকে থেকে প্রচন্ড চাপের মুখে ছিলেন।", "doc2": "La princesse Haya a fui son mari à Dubaï et se cache à Londres. Selon le média américain, l'affaire est jugée à Londres, à la Division de la famille de la Haute Cour, et les prochaines audiences auront lieu les 30 et 31 juillet. Contacté par CNN, la Cour royale de justice a confirmé les dates des audiences, mais pas l'identité des deux parties. \"L'affaire a été entendue pour la dernière fois le 22 mai 2019 devant le juge Moor et l'affaire est maintenant inscrite sur la liste des affaires devant le Président le 30 juillet 2019\", peut-on lire dans la déclaration du tribunal. Lire aussi: Princesse Haya se prépare à une bataille juridique devant la Haute Cour du Royaume Uni. La princesse Haya bint al-Hussein, épouse du souverain de l'Emirat de Dubaï se cache à Londres et craint pour sa vie après avoir quitté son mari. La princesse Haya s'est d'abord enfuie cette année en Allemagne pour demander l'asile. Elle vivrait maintenant à Kensington Palace Gardens, au centre de Londres, et se prépare à une bataille juridique devant la Haute Cour."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48827420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48800486", "doc1": "মরক্কোর বাদশা ষষ্ঠ মোহাম্মদ তাহলে, সুদান এবং আলজেরিয়ার পর মরক্কোতেই কি ঘটতে যাচ্ছে ক্ষমতার পরবর্তী পটপরিবর্তন? ক্যাসাব্লাঙ্কা শহরে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিলেন সালেহ আল-মনসুরি। তার বয়েস মাত্র বিশের কোঠায়, কিন্তু ইতিমধ্যেই কঠিন জীবনের অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে তার। তিনি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়েছিলেন। কয়েক বছর থেকেছেন জার্মানিতে। কিন্তু তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আবার ফিরে এসেছেন দেশে। \"লোকে ইউরোপে যায় এমন কিছু পাবার জন্য যা তারা এখানে পায় না\" - বলছিলেন মি. মনসুরি। তিনি কিছু অর্থনৈতিক প্রয়োজনের কথা বললেন, উন্নত জীবনের কথা বললেন। কিন্তু আরো কিছু প্রয়োজন আছে - যা বিমূর্ত। \"যেমন স্বাধীনতা, যেমন সম্মান - এরকম অনেক কিছু আছে। মরক্কোতে জনগণকে কেউ পাত্তা দেয় না। এর অভাবই মানুষকে অভিবাসী হতে উদ্বুদ্ধ করে\" - বলছিলেন তিনি। বিবিসির আরবি বিভাগের চালানো এক জরিপ অনুযায়ী মরক্ক��র প্রায় অর্ধেক লোক দেশ ছাড়ার কথা ভাবছে। এই জরিপের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে এ প্রশ্নও মনে আসে: মরক্কোতেই কি এর পর গণ-অসন্তোষ দেখা দেবে? বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আরবরা কি ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? এরদোয়ান: আরব দেশে তিনি কেন এতো জনপ্রিয়? আলজেরিয়ার পর আরব বসন্তের ঢেউ লাগবে সুদানে? মরক্কোর তরুণদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পরিবর্তনের আকাঙ্খা সম্প্রতি সুদান এবং আলজেরিয়ায় যে গণবিক্ষোভ এবং তার পর আকস্মিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে গেল তাকে অনেকেই বলছেন আরব বসন্ত ২.০। সুদানের ওমর আল-বশির এবং আলজেরিয়ার আবদেলআজিজ বুতেফ্লিকার ক্ষমতাচ্যুতি অনেককে অবাক করেছে - কিন্তু বিবিসির জরিপটিতে এরকম কিছু ঘটার ইঙ্গিত ছিল। দেশ দুটির লোকজনের কথাবার্তায় ফুটে উঠেছিল তারা ক্রুদ্ধ, আতঙ্কিত এবং বেপরোয়া। দেশ দুটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বলছিলেন, তারা নির্বাচন এবং একনায়কতন্ত্র, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে অসন্তুষ্ট। এরকম উপাত্ত মিলেছে আরেকটি দেশ থেকে - মরক্কো। রাজনৈতিক পরিবর্তনের আকাঙ্খা বিবিসির জরিপে মরক্কোর উত্তরদাতাদের অর্ধেকই বলেছেন, তারা অবিলম্বে রাজনৈতিক পরিবর্তন চান। দেশটির ৪৫ শতাংশ মানুষের বয়সই ২৪এর নিচে, এবং অনুর্ধ-৩০ বছর বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের ৭০ শতাংশই দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চান। ষাট বছরের বেশি বয়স্কদের অর্ধেকই সরকারের ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন, কিন্তু ১৮-২৯ বছর বয়স্কদের মধ্যে এ হার মাত্র ১৮ শতাংশ। ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ বেশ কিছু সংস্কার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। নতুন সংবিধান হয়, পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানো হয়, তবে রাজার ব্যাপক কর্তৃত্ব এখনো বহাল আছে। অনেক সংস্কারই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় নি - বলছেন সাংবাদিক ও বিরোধীদলীয় কর্মী আবদেললতিফ ফাদুয়াশ। সালেহ আল মনসুরি ইউরোপে আশ্রয় না পেয়ে আবার দেশে ফিরেছেন তিনি বলছেন, নানা কারণে এখানে পুরোপুরি বাজার অর্থনীতি চালু হতে পারছে না। ট্যাক্সি চালানো বা মাছ ধরার পারমিটের জন্যও রাজনীতিবিদ বা রাজপ্রাসাদের আনুকুল্য লাগে। \"আলজেরিয়া, সুদান, বা তার আগে সিরিয়া-মিশর-লিবিয়া-তিউনিসিয়ায় যা ঘটেছে তা যে কোন সময় মরক্কোতে ঘটতে পারে\" - বলেন তিনি। আরেকজন সাংবাদিক আবদেররহিম স্মুগেনি বলছেন, লোকে সরকার এবং প্রধানমন��ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই না করে শুধু কর বাড়াচ্ছে। কিন্তু মরক্কোর বাদশাকে লোকে দেখে রাজনীতির উর্দ্ধে। সুদান বা আলজেরিয়ার সাথে এটা একটা বড় পার্থক্য, কারণ ওই দেশগুলো মরক্কোর মতো রাজতন্ত্র নয়। কিন্তু বাদশার ব্যাপারে এ অনুভুতি কি এখনো আছে? এটা বলা কঠিন। মি স্মুগেনি বলেন, অনেকেই মনে করছেন রাজতন্ত্র হয়তো নাও টিকতে পারে। মরক্কোর সেনাবাহিনীকেও রাজার প্রতি অনুগত বলে মনে করা হয়। দেশটিতে এখনো সেরকম কোন গণআন্দোলন বা বিক্ষোভ নেই। কিন্তু বিবিসি জরিপ পরিচালনাকারী আরব ব্যারোমিটারের মাইকেল রবিন্স বলছেন, মরক্কোয় এখনো কোন আরব বসন্ত মুহুর্ত আসে নি, ২০১১ সালের বিক্ষোভ সেরকম কোন মৌলিক পরিবর্তন আনে নি। কিন্তু তাদের জরিপের উপাত্ত থেকে একটা সতর্ক সংকেত পাওয়া যায়। তরুণ প্রজন্ম হয়তো একটা স্ফুলিঙ্গের কাছাকাছি, যা একটা বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে। মরক্কো এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। সবকিছু নির্ভর করে দেশটির তরুণরা তাদের বাদশা এবং তার অজনপ্রিয় সরকারের কাছে কি প্রত্যাশা করে - তার ওপর। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মানুষ কী চায়?", "doc2": "Sur un balcon surplombant les toits de Casablanca, un homme tire sur sa cigarette et pense au rêve qui lui a été arraché. Saleh al-Mansouri n'a qu'une vingtaine d'années, mais il sait ce que c'est que de traverser la mer vers l'Europe. Il a vécu en Allemagne pendant plusieurs années jusqu'à ce que sa demande d'asile soit rejetée et qu'il soit contraint de rentrer au Maroc. \"Les gens y vont pour certaines choses qu'ils n'ont pas ici\", dit M. Mansouri. Certaines sont économiques - il parle de vêtements que vous pouvez vous permettre, d'un meilleur style de vie - mais d'autres sont moins tangibles. \"Comme la liberté\", dit-il, avant d'ajouter : \"Il y a beaucoup de choses... comme le respect\". \"Il n'y a pas de soins ici au Maroc pour la population. C'est le manque de soins qui fait migrer les gens.\" A lire aussi Au Soudan, les manifestants \"tentent de copier le Printemps arabe\" Tunisie : 7e anniversaire du \"Printemps arabe\" La révolution célébrée dans la contestation Les manifestations en Algérie ne s'essoufflent pas Près de la moitié des Marocains envisagent d'émigrer. La proportion est en forte hausse après une décennie de crise, selon un sondage pour BBC News Arabic. L'enquête, qui couvre le Moyen-Orient et l'Afrique du Nord en 2018 et 2019 et a été réalisée par le réseau de recherche du Baromètre arabe, soulève une question intrigante : le Maroc est-il en passe de connaître des troubles ? Les manifestations anti-gouvernementales au Soudan et en Algérie ont conduit à un changement politique en avril dans ce qui a été surnommé le Printemps arabe 2.0. Alors que la chute d'Omar al-Bashir au Soudan et d'Abdelaziz Bouteflika en Algérie a choqué la plupart des gens, les indices étaient déjà présents dans l'enquête de la BBC News Arabic. Des mois avant que les manifestations ne précipitent la chute de leurs gouvernements, les populations soudanaises et algériennes donnaient des réponses lors de l'enquête montrant qu'ils étaient en colère, craintifs et désespérés. Saleh al-Mansouri says the lack of care for the population makes people like him migrate Les trois quarts des Soudanais ont déclaré que leur pays était plus proche de la dictature que de la démocratie, le score le plus élevée de la région. En Algérie, il était de 56%, troisième derrière la Libye. Près des deux tiers des Algériens ont déclaré que les dernières élections dans leur pays n'ont pas été libres ou équitables. Seulement un quart des Soudanais et un tiers des Algériens pensent que la liberté d'expression existe dans leur pays. Un autre pays s'est distingué dans les données - le Maroc. Le désespoir et la frustration La plupart des endroits sondés indiquent un désir de réforme graduelle. Mais au Maroc, la moitié des personnes interrogées souhaitaient un changement politique immédiat. \"Il y a un réel sentiment de désespoir et de frustration chez les jeunes\", affirme le journaliste et militant de l'opposition Abdellatif Fadouach. Environ 45% de la population a moins de 24 ans et, sur la plupart des questions, le pays est déchiré par une fracture générationnelle. Environ 70% des adultes de moins de 30 ans souhaitent émigrer contre 22% des quadragénaires. Alors que la moitié des plus de 60 ans ont une opinion positive du gouvernement, ce chiffre est de 18 % chez les 18-29 ans. Le printemps arabe a donné aux jeunes gens l'espoir que la société marocaine subirait ce même changement. Le Maroc est une monarchie et après les protestations qui ont éclaté en 2011, le roi Mohammed VI a annoncé un programme de réformes. S'en prendre aux élites politiques Le favoritisme sur le marché du travail empêche une véritable économie de marché, dit-il, notant que les possibilités d'emploi - comme l'obtention d'une licence pour un taxi ou un permis de pêche - sont des cadeaux des politiciens au pouvoir et du Palais royal. \"Même une lueur d'espoir pour demain est malheureusement écourtée et les choses redeviennent comme avant\", dit-il. L'appétit est là pour se retourner contre l'élite politique, croit-il. \"A tout moment, le Maroc peut être témoin de ce qui s'est passé en Algérie et au Soudan et avant en Syrie ou en Egypte, en Libye ou en Tunisie.\" Parlez à la génération plus âgée et vous entendez un désir de continuité. Abdallah Al-Barnouni est un comptable retraité vivant à Casablanca. Il ne partage pas l'empressement de la jeune génération pour un changement immédiat : \"La génération d'aujourd'hui, les enfants d'aujourd'hui, ils veulent y arriver rapidement. Ils veulent tout rapidement - la voiture, la maison, le travail, ils veulent rapidement atteindre un niveau de vie élevé.\" Il n'y a aucun signe de soulèvement violent. Du moins, pas encore. Une nouvelle constitution a été introduite, élargissant les pouvoirs du Parlement et du Premier ministre, mais laissant au roi une large autorité sur le gouvernement. Nombre des réformes promises n'ont jamais été pleinement mises en œuvre, dit M. Fadouach. Retired accountant Abdallah al-Barnouni, pictured with his family, observes young people are impatient for change Les présidents renversés depuis le début des soulèvements arabes Mais l'enquête indique que les Marocains étaient fortement impliqués dans les manifestations pacifiques, en soutien au Yémen et les territoires palestiniens, des endroits ravagés par la guerre ou les conflits. Plus d'un quart des personnes interrogées ont déclaré avoir participé à une manifestation, une marche ou un sit-in pacifique. Plus largement, le Maroc est un pays et une culture en mutation. Le nombre de Marocains se décrivant comme non religieux a quadruplé depuis 2013 - le taux le plus rapide de la région. Les manifestations contre la corruption et le chômage ont secoué le nord du Maroc marginalisé en 2016 et 2017 dans le cadre d'un mouvement connu sous le nom de Hirak Rif. Des milliers de personnes sont descendues dans la rue et des centaines ont été arrêtées. D'autres manifestations ont eu lieu en avril de cette année lorsqu'un tribunal a confirmé les 20 ans de prison infligés aux dirigeants du mouvement. En Tunisie, la grogne sociale s'intensifie à travers le pays La BBC a contacté le gouvernement marocain pour commenter les résultats de l'enquête, mais n'a pas reçu de réponse. Au Soudan et en Algérie, le mécontentement populaire a commencé dans les régions pauvres avant de s'étendre à la capitale. Cela pourrait-il se reproduire ? \"C'est très difficile à prédire\", explique Abderrahim Smougueni, journaliste pour TelQuel Arabi, un hebdomadaire marocain. Certains des mêmes ingrédients existent au Maroc. \"Il y a du mécontentement populaire et de la frustration face au gouvernement et au premier ministre.\" Les gens s'attendaient à ce que le gouvernement lutte contre la corruption, dit-il. Au lieu de cela, ils ont décidé d'appliquer des impôts à la classe moyenne, aliénant ainsi un segment clé de la population. Cependant, il existe des différences cruciales. Le Soudan et l'Algérie ne sont pas des monarchies. L'armée fidèle au Roi Au Maroc, cependant, l'opinion générale était que le roi se tenait au-dessus de la politique et agissait comme un frein à tout soulèvement populaire. La question est de savoir si cette situation va perdurer… \"Quoi que les gens pensent du gouvernement, ils font confiance au roi\", dit M. Smougueni. D'autres disent que c'est moins clair. \"Avant [le printemps arabe], il y avait un consensus autour de la monarchie\", avance M. Fadouach. \"Mais aujourd'hui, cette foi en la monarchie pourrait ne pas persister.\" Contrairement aux autres pays arabes qui ont connu des soulèvements, le Maroc est une monarchie dirigée par le roi Mohammed VI. L'ampleur des protestations contre Omar El-Bashir a été telle que les puissantes forces militaires soudanaises ont destitué le président lors d'un coup d'État et ont commencé une violente répression contre les manifestants. Mais au Maroc, l'armée semble loyale au roi. Pour M. Smougueni, il ne s'agit pas encore d'un mouvement populaire, mais plutôt d'une série de protestations sporadiques et de grèves sur la réforme dans des secteurs spécifiques de l'économie comme la santé et l'éducation. Pourtant, une région qui, pendant des années, semblait imperméable au changement, est aujourd'hui définie par l'instabilité. Depuis le début du printemps arabe en décembre 2010, au moins une demi-douzaine de pays ont vu leur président tomber ou la guerre éclater. En d'autres termes, les protestations populaires peuvent se répandre comme une traînée de poudre dans le monde arabe. Et il n'y a aucune garantie que cela se termine bien dans certains pays. Drapeau rouge Le Maroc n'a pas encore eu son moment marquant du printemps arabe - le mouvement de protestation du 20 février 2011 n'a pas conduit à un changement fondamental. Le roi tire toujours les ficelles et les réformes politiques ont été limitées. Michael Robbins, du Baromètre arabe, est prudent quant à l'idée d'un renversement de la monarchie. Mais les données devraient déclencher un signal d'alarme pour le gouvernement marocain, dit-il. \"Les Marocains - en particulier la jeune génération - sont plus susceptibles de vouloir une réforme rapide que les citoyens d'autres pays. Ils semblent aussi plus près d'avoir une étincelle pour les galvaniser\". Si le Maroc n'est pas au bord du gouffre, il est à la croisée des chemins. Tout dépend maintenant de ce que la jeunesse exige de leur roi et de son gouvernement."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54053012", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-54056135", "doc1": "বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে এখন ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে এখন ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২ লাখ ৪ হাজার ৬১৩ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ হাজার ৬৪২ জনের, বিশ্বে যা তৃতীয়। ভারতের পাঁচটি রাজ্যেই মূলত এসব সংক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি সচল করতে বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে, তখন দেশটিতে সংক্রমণের হারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মার্চ মাস থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ভারতে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। গত সাতদিন ধরেই ভারতে নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৭৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। নতুন রোগীদের ৬০ শতাংশের বেশি এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ থেকে, যেসব রাজ্যে জন ঘনত্ব বেশি। এছাড়া রাজধানী দিল্লিতেও নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার শুধু দিল্লিতে ২৭০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরো পড়ুন: ভারত কি বিশ্ব মানচিত্রে পরবর্তী করোনাভাইরাস হটস্পট? আমার চোখে বিশ্ব: করোনাভাইরাস ভারতে নারী-শিশুকে সহিংসতার মুখে ফেলেছে ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও কোভিড-১৯ রোগীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এমনকি আন্দামান দ্বীপের প্রত্যন্ত একটি দ্ব���পেও ভাইরাসের বিস্তার দেখা গেছে। গত মাসে এই দ্বীপের দশজন বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বৃদ্ধির কারণে নতুন রোগী শনাক্ত হারও বাড়ছে। এখন ভারত জুড়ে প্রতিদিন দশ লাখের বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও এই রোগে আক্রান্তের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার কম, তারপরেও গত সাতদিন ধরে প্রতিদিন দেশটিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ লাখের বেশি রোগী নিয়ে গত অগাস্ট মাসে বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে ভারত। সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন কার্যকর করেছিল ভারত, যখন দেশটিতে মাত্র কয়েকশো রোগী শনাক্ত হয়েছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন তবে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করার জন্য জুন মাস থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। মহামারি এবং লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। জুন মাস নাগাদ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতের অর্থনীতির ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯৬ সালের পর দেশটির অর্থনীতি এতো ক্ষতির মধ্যে আর পড়েনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আমেরিকার বিমানবন্দরে কঠোর নজরদারীতে চীনা ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্নিদগ্ধ হলে সাথে সাথে যে পাঁচটি কাজ করা জরুরি এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জেনে রাখতে পারেন দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স", "doc2": "Le pays a maintenant le deuxième plus grand nombre de cas confirmés dans le monde, soit 4 204 613. Quelque 71 642 décès y ont été enregistrés. Ce qui le place au troisième rang mondial. L'augmentation des infections signalées provient principalement de cinq États. Cette hausse survient alors que le gouvernement continue à lever les restrictions pour tenter de relancer une économie qui a perdu des millions d'emplois lorsque le virus a été découvert dans le pays en mars. Au cours des sept derniers jours, le nombre de cas en Inde a augmenté, ajoutant plus de 75 000 infections par jour. Plus de 60 % de cas actifs proviennent des États de l'Andhra Pradesh, du Tamil Nadu, du Karnataka, du Maharashtra et de l'Uttar Pradesh, l'État le plus peuplé de l'Inde. Les cas ont également commencé à augmenter dans la capitale, Delhi, avec plus de 3 200 infections enregistrées dimanche, le plus grand nombre de cas enregistrés dans la ville depuis plus de deux mois. Une recrudescence du Covid-19 dans de nombreuses zones rurales a également entraîné une hausse des chiffres. Le virus a frappé une tribu isolée dans les îles Andamans, en Inde, et dix membres de la Grande Andamanese ont été testés positifs au cours du mois dernier. L'augmentation du nombre de cas est aussi en partie le reflet d'une augmentation des tests - le nombre de tests quotidiens effectués dans tout le pays est passé à plus d'un million."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47382088", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-39511053", "doc1": "গতবছরের জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠকের সময়ে ট্রাম্প-কিম আশা করা যায় যে, এক সময়ের প্রবল শত্রুভাবাপন্ন এই দুইজন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে কিছু একটা সমাধানে এবার আসতে পারবে। এই সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে কী ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহজুড়ে? কী নিয়ে আলোচনা করবেন তারা? গত জুনে এই দুই নেতার প্রথম ঐতিহাসিক সাক্ষাতের সময়ে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল, এবারো সেই বিষয়টিই থাকছে আলাপের প্রসঙ্গে, আর তা হলো 'পরমাণু অস্ত্র'। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই হয়তো চাইছে যে, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করুক- যাকে পদ্ধতিগত ভাবে বলে- ডিনিউক্লিয়ারাইজেশন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া একটি কথা সবসময়েই বলে আসছে, আর তা হলো যে যখন তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে আর কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন হবে না- তখনই তারা এমন সিদ্ধান্তে যেতে পারে। কেননা, উত্তর কোরিয়াকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখা হয়েছে। ফলে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশের সাথেই বাণিজ্য বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাদের। আর তাই সেসব নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে তারা নিশ্চয়তা চায়। আরো পড়তে পারেন: বালাকোট হামলা: কতো দূর গড়াতে পারে উত্তেজনা বালাকোটে ভারতের বোমা বর্ষণ: কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? উত্তর কোরিয়া কি এরইমধ্যে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর হলো - না। কখনোই না। গতবছর যখন প্রথমবারের মতো তাদের সাক্ষাৎ হলো, ট্রাম্প এবং কিম সাক্ষর করেছিলেন 'দ্য সিঙ্গাপুর ডিক্লারেশন', যাতে আশাবাদ অনেক বেশি থাকলেও তার বিস্তারিত কমই জানা গেছে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, তারা শান্তি এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ কী এবং কীভাবেই বা তা করা হবে- সে সম্পর্কে তারা একমত হতে পারেনি। যদিও উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু পরীক্ষাগার ধ্বংস করে দিয়েছে- যদিও পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ হবার পর সেটার আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পরমাণু অগ্রগতি থামানোর আর কোনো ইঙ্গিত তারা দেখায়নি। এমনকি, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়া কখনই এই কর্মসূচী পরিত্যাগ করতে পারবেনা। কেননা তারা মনে করে যে ঐ অঞ্চলে তাদের কৌশল করেই টিকে থাকতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মি. ট্রাম্প তার উচ্চাকাঙ্খার মাত্রায় পরিবর্তন এনে বলতে শুরু করেছেন, উত্তর কোরিয়া আর কোনো পারমাণবিক বোমা বা ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা যে চালায়নি- তাতেই তিনি খুশি। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো উত্তর কোরিয়াকে শুধুমাত্র তার সকল ধরনের পরমাণু পরীক্ষণের তালিকা প্রকাশের জন্যেও চাপ দিতে পারে। এবিষয়ে আরো পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন কিম-ট্রাম্প দ্বিতীয় বৈঠক: আশা জাগাবে কতটা ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিসাইল পরীক্ষা করছেন কিম জং-আন কেন উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারবে না? এখন পর্যন্ত যত ধরনের অস্ত্র আবিস্কার হয়েছে, পরমাণু বোমা তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, পুরো বিশ্ব একমত হয়েছে যে নতুন করে আর কোনো রাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র তৈরির মাধ্যমে সেই আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আইন লঙ্ঘন করেছে। বাস্তবে এ নিয়ে সবচেয়ে ভয় হলো যে, কোনো দিন হয়তো এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে যেতে পারে। কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে এর ফর্মুলা বা প্রযুক্তি বিক্রি করা হতে পারে, দূর্ঘটনা ঘটতে পারে অথবা সরকারের পতন ঘটলে এগুলো ভুল কারো হাতে পড়তে পারে। এখন উত্তর কোরিয়াকে যদি পরমাণু কর্মসূচী চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া হয়, তবে অন্য রাষ্ট্রও একইভাবে উৎসাহিত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনাদের মহড়া উত্তর কোরিয়া কি তাহলে সবার জন্যে হুমকি? হ্যাঁ, স্বভাবগতভাবেই। কেননা তারা বারবার বলেছে যে, তারা কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলেই পারমাণবিক অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না। দেশটির প্রতিবেশীরা এ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন- বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। যদিও এই দুই দেশেই হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার দাবি যে, তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। আবার সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সাইবার নিরাপত্তার জন্যেও হুমকির কারন হয়ে দাড়াচ্ছে। হ্যানয়�� ট্রাম্প-কিম বৈঠকের প্রস্তুতি আমেরিকা আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কি যুদ্ধ চলছে? কৌশলগতভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, হ্যাঁ চলছে। কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হয়েছে বটে , কিন্তু কোনো শান্তি চুক্তি কখনো স্বাক্ষরিত হয়নি। যুদ্ধোত্তর চুক্তির অধীনে, এখনও দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৩ হাজারের বেশী মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য আছে এবং তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের সাথে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা সেনা অনুশীলনে অংশ নিয়ে থাকে। এই আলোচনার অন্যতম ফলাফল হিসেবে কোনো একরূপে শান্তি ঘোষণা আসতে পারে, যার কিছুটা মি. কিম নিশ্চয়ই চান। সেটি হয়তো কোনো আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তি হবে না- এটি হবে জটিল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তব কিছু বিষয়ের সাথে যুক্ত। ভিয়েতনামে কেন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈঠক? কমিউনিস্ট দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সাথে ভিয়েতনামের যেমন কিছু রাজনৈতিক মিল রয়েছে তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও রয়েছে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উত্তর কোরিয়াকে একঘরে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে ভিয়েতনামকেই আদর্শ হিসেবে দেখতে হবে। কিম হয়তো কিছু সময় দেশটির ইন্ডাস্ট্রি এবং বাণিজ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর সরকার পদ্ধতি বিরাজ করছে, যারা সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে জনগণের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মতে দেশটিতে অন্তত ১০ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শহুরে রাজনৈতিক অভিজাতদের জীবন অনেক উন্নত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তবে অধিকায় আদায়ে সোচ্চার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কিছুই পরিবর্তন আসেনি। ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলনে মানবাধিকার ইস্যুটি আলোচনায় আসবে না। তবে তারা কিছু মানবিক বিষয়কে অনুমোদন দিতে পারে, যুদ্ধে বিছ্ন্নি পরিবারের সদস্যদের দেখা সাক্ষাতের ব্যবস্থায় সায় দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কি কখনো উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করতে পারে? তাত্ত্বিকভাবে বলা যেতে পারে যে, হ্যাঁ এটা সম্ভব। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এটা কেবল একটা ধারণা মাত্র। কিম এবং দেশটির বর্তমান নেতৃত্বকে অপসারন করলে সেখানে হঠাৎ বিশাল অস্থিরতা দেখা দিতে পারে; যা অনিবার্যভাবে আরেকটি শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে। আর উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এসব বাড়তি খরচ এড়াতে চায় এবং অঞ্চলটির সামগ্রিক অস্থিতিশীলতার বিপক্ষে। আর উত্তর কোরিয়ার রয়েছে পারমাণবিক, রাসায়নিক এবং জৈব অস্ত্র - সেইসাথে আছে একটি বিশাল আকারের সেনাবাহিনী। যতক্ষণ না এর সবকিছু নিষ্ক্রিয় হচ্ছে, ততক্ষণ এমন ঝুঁকি নেয়া উচিৎ নয়।", "doc2": "De son cote, Xi Jingping voit d'un mauvais œil le renforcement de la présence militaire des Etats-Unis en Asie. Selon des sources proches de la maison blanche, plusieurs sujets d'actualité seront abordés par les deux dirigeants. Le problème du programme nucléaire militaire de la Corée du Nord sera au centre des discussions entre Donald Trump et Xi Jingping. Le sujet est d'autant plus d'actualité que le dernier essai nucléaire effectué par le régime de Kim Jong-Un est intervenu mercredi matin. Avant de quitter la Maison Blanche, Barack Obama avait prévenu Donald Trump que la Corée du Nord serait une menace grandissante pour la sécurité de l'Asie et même pour celle des Etats-Unis. La Chine, selon les américains, peut user de son influence auprès de la Corée du Nord pour lui demander de renoncer à son programme. Le cas échéant Washington se dit prêt à agir de manière unilatérale, sans toutefois, préciser par quels moyens. Cependant, la Corée du Nord n'est pas le seul sujet de discorde entre les Etats-Unis et la Chine. Donald Trump promet de réduire le déficit commercial américain avec la Chine qui s'est élevé à plus de 340 milliards de dollars l'année dernière. Il n'apprécie pas non plus l'expansion militaire de Pekin dans la Mer de Chine du Sud. De son cote, Xi Jingping voit d'un mauvais œil le renforcement de la présence militaire des Etats-Unis en Asie. Le chef d'Etat chinois veut aussi obtenir de son homologue américain l'assurance qu'à l'instar de ses prédécesseurs, depuis Richard Nixon, qu'il ne considérera pas Taiwan comme un Etat indépendant de la Chine continentale."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51923316", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-39115087", "doc1": "এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট ৭০জন আক্রান্ত হলেন। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০জন সুস্থ হয়েছেন। ৮ই মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টায় এবারই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হলো। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআরের) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নতুন করে সংক্রমিতদের একজন। অপরজন আগেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। দুইজনের বয়সই ষাট বছরের বেশি। তাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তাদের একজনের ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে, আরেকজন ঢাকার বাইরে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, 'নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন পূর্বে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা পূর্বে সংক্রমিতদের পরিবারের সদস্য। দুইজন বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।'' ''বাকি দুইজনের ব���যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।'' এদের মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১০ বছরের নীচে। তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,একজনের বয়স ৬০ থেকে ৭০, আরেকজনের বয়স ৯০ বছর। মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বর্তমানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২জন। অপর বিশজন হাসপাতালে রয়েছেন। যেসব জেলায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইইডিসিআর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে এই নমুনা সংগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, ''যেসব হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার যন্ত্র বসানো হয়েছে, সেখানে যদি কোন রোগীকে করোনা সন্দেহ করলে সেখানেই পরীক্ষা করবেন। রোগী করোনাপজিটিভ হলে এজন্য চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠাবেন। না হলে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা দেবেন।'' একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে বলে অবশ্যই আমরা বলতে পারি। কিন্তু সেটা এখনো সীমিত আকারে, ক্লাস্টার আকারে রয়েছে। তবে আমরা আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেবো।'' জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ২৪৩জন। এদের মধ্যে ৫৮ হাজার ৯২৯জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৯জন। ৮ই মার্চ বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। এরপর ১৮ই মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ। ২৫শে মার্চ প্রথমবারের মত সংস্থাটি জানায় যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে। ২রা এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় আজ (৩রা এপ্রিল) থেকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার আওতা বাড়ানো হবে।", "doc2": "Au Bénin, une nouvelle épidémie de la fièvre hémorragique à virus lassa a fait deux morts. 61 cas ont été enregistrés dans le nord du pays. C'est la troisième fois que le Bénin connait cette épidémie. La dernière avait démarré par la commune de Tchaourou comme cette fois ci. Le virus avait fait 28 décès sur 54 cas enregistré. La fin de l'épidémie avait été déclaré déclaré le 23 mai 2016. La fièvre de Lassa a été identifiée pour la première fois en 1969 dans le Nord du Nigeria. Il s'agit d'une infection virale appartenant à la même famille que les virus d'Ebola et de Marburg. Selon le Centre américain de prévention et de contrôle des maladies, la fièvre de Lassa fait près 5 000 victimes en Afrique de l'Ouest."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42139388", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-42135358", "doc1": "প্রিন্স হ্যারি ও তার বান্ধবী মেগান মার্কল সিংহাসনের উত্তরসূরীদের তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা হ্যারি আগামী বসন্তে বিয়ে করবেন বান্ধবী মিস মার্কলকে। ২০১৬ থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকা করা এই জুটির বাগদান সম্পন্ন হয় এমাসের শুরুতে। এক বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি জানান বাগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। শুধুমাত্র রানী এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা লন্ডনে সম্পন্ন হওয়া বাগদানের বিষয়ে আগে থেকে জানতেন। আরো পড়তে পারেন: 'আমার বাবা আমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো' পিলখানা হত্যা: ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল প্রিন্স অব ওয়েলস ও ডাচেস অব কর্নওয়ালের আনুষ্ঠানিক বাসভবন ক্ল্যারেন্স হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয় বিয়ের তারিখ ও অন্যান্য খুঁটিনাটি \"যথাযথ সময়ে\" জানানো হবে। বাকিংহাম প্যালেসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন রানী ও ডিউক অব এডিনবার্গ নতুন জুটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অব ক্যাম্ব্রিজ ক্যাথেরিন বলেছেন তাঁরা, \"হ্যারি ও মেগানের জন্য দারুণ উচ্ছসিত।\" \"মেগানের সাথে পরিচিত হতে পেরে আর দুজনকে একসাথে সুখী দেখে খুবই আনন্দিত।\" ইনভিক্টাস গেমসে হ্যারি ও মেগান আহত সেনাসদস্যদের নিয়ে আয়োজিত হওয়া আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ইনভিক্টাস গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই জুটিকে একসাথে দেখা যায়। প্রিন্স হ্যারির উদ্যোগে ২০১৪ তে শুরু হয় এই গেমস। এমাসের শুরুতে অভিনেত্রী মেগান মার্কল ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।", "doc2": "Le Prince Harry va épouser sa copine, l'actrice de la série américaine Suits, Megan Markle. Le prince, cinquième dans l'ordre de succession, épousera Megan Markle, le printemps prochain. Le couple résidera à Nottingham Cottage au Palais de Kensington Palace à Londres. Les deux fiancés se fréquentent depuis juillet 2016. Ils se sont fiancés en novembre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50198142", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50212132", "doc1": "স্টকারওয়্যার এখন আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। অ্যামি অবাক হয়ে যখন তার স্বামীকে প্রশ্ন করতেন যে সে কীভাবে তার এবং তার বন্ধুদের সম্পর্কে এতসব তথ্য জানে! তখন তার স্বামী বলতো এসব, সেই তাকে একসময় বলেছে এবং পরে হয়তো ভুলে গেছে। অ্যামি বিস্মিত হয়ে আবিষ্কার করে, সে কখন কোথায় থাকে সেটিও জানে তার স্বামী। \"কখনো কখনো সে বলেছে যে সে হঠাৎ কোথাও যাবার সময় আমাকে কোনও এক বন্ধুর সাথে ক্যাফেতে দেখেছে। ���খন তাকে সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করি, আমি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। এমনকি আমার বন্ধুদের ওপর থেকেও।\" \"মাসখানেকের মধ্যে আমাদের বৈবাহিক জীবনটিই দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এর পরিণতি আসে একটি পারিবারিক হ্যালোউইন ভ্রমণে।\" অ্যামি বলছিলেন, \"হ্যালোউইন উপলক্ষে আমাদের বেড়ানোটি বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। অনেকদিন পর দারুণ একটি ছুটি কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু সবকিছু নস্যাৎ হয়ে গেল হঠাৎই। আমার স্বামী যখন একটি ছবি দেখানোর জন্যে তার মোবাইল ফোনটি আমাকে দেন তখন একটি পপ-আপ ভেসে ওঠে ফোনের স্ক্রিনে। 'অ্যামির কম্পিউটার থেকে প্রতিদিনের রিপোর্ট দেখার জন্যে তৈরি'- এটাই ছিল সেই মেসেজে।\" ঘটনার আকস্মিকতা তাকে বিহ্বল করে তোলে। এরপর অ্যামি যখন লাইব্রেরি রুমে গিয়ে তার স্বামীর কম্পিউটার অনুসন্ধান করে স্পাইওয়্যারটা খুঁজে পায়- তখন সবকিছুই তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। স্টকারওয়্যার আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। 'স্টকারওয়্যার' কী? 'স্টকারওয়্যার' যা কিনা 'স্পাউসওয়্যার' নামেও পরিচিত - এক ধরনের খুবই শক্তিশালী নজরদারির সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা সাধারণত প্রকাশ্য অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। যেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ক্ষেত্রে। এটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির সমস্ত মেসেজ পড়া সম্ভব, তার ব্যবহৃত কম্পিউটারের স্ক্রিনের রেকর্ড রাখা যায়, জিপিএস অবস্থান ট্র্যাক করা যায়, ব্যক্তি কী করছে তা জানার জন্যে ক্যামেরা পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ক্যাসপারস্কির মতে, এ ধরনের গুপ্তচরমূলক সফটওয়্যার নিজেদের ডিভাইসে খুঁজে পাওয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত একবছরে কমপক্ষে বেড়েছে ৩৫%। ক্যাসপারস্কির গবেষকরা বলছেন, তাদের সুরক্ষা প্রযুক্তি এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৭,৫৩২টি ডিভাইসে 'স্টকওয়্যার' সনাক্ত করতে পেরেছে। সংস্থাটির প্রধান সুরক্ষা গবেষক ডেভিড এম সংখ্যাটিকে একটি বিশাল 'হিমবাহের চুড়া মাত্র' বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, \"বেশিরভাগ মানুষ নিয়মিত তাদের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কিন্তু তাদের মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে নয়।\" গুপ্তচরমূলক সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত একবছরে কমপক্ষে বেড়েছে ৩৫%। তার হিসেবে স্মার্টফোনে ক্যাসপারস্কি সুরক্ষা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েই ওপরের সংখ্যাটি তারা পেয়েছেন। সুতরাং প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যাসপারস্কি'র অনুসন্ধানে রাশিয়াতে সবচেয়ে বেশি 'স্টকওয়্যার' ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। ভারত, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর জার্মানি হল এর পরের ৫টি দেশ। যুক্তরাজ্যের অবস্থান তালিকায় ৮ম। অন্য একটি সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান বলছে যে তারা ব্যবহারিক পদক্ষেপ নিতে পারছে সেইসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যারা মনে করছেন যে তাদের ওপর নজরদারি বা গুপ্তচরবৃত্তি করা হচ্ছে। 'ইস্ট' এর জ্যাক মুর-এর বক্তব্য, যে অ্যাপটি ব্যবহার করা হয় না সেটি ডিলিট করে দেয়াই সবচেয়ে সহজ উপায় এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যে। অ্যামির ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা হল যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তার ওপর নজরদারি হয়েছে, তারপর থেকে প্রযুক্তির ওপরই অবিশ্বাস জন্মে যায়- যা কিনা সম্প্রতি তিনি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া জেসিকা নামে আরেকজন নারী যিনি এই 'স্টকারওয়্যার' এর শিকার। তার প্রাক্তন স্বামী নিয়মিত তার টেলিফোনের বক্তব্য তার অজান্তে ধারণ করতো এবং বন্ধুদের সাথে বলা কথার বিশেষ কোনও বাক্য ব্যবহার করে জেসিকার মনেও ওপর চাপ সৃষ্টি করতো। ঈর্ষাপরায়ণ স্বামী, স্ত্রী ও প্রেমিকেরা এটি বেশি ব্যবহার করছে। সে সম্পর্কটি বহু বছর আগে ভেঙ্গে গেলেও মিজ জেসিকা এখনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় নিজের ফোনটাকে দূরে সরিয়ে রাখেন। পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে কাজ করেন গেমা টয়নটন। তার হিসেবে এসবক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে থাকে অনেকের উপর। তিনি বলেন, \"এটি কোনও ব্যক্তির বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। এটি তাদেরকে ফোন বা ল্যাপটপকে একধরনের অস্ত্র হিসেবে দেখতে বাধ্য করে, কারণ হয়তো সেটি তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।\" \"ফলাফলে দেখা গেছে বহু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে দূরে সরে এসেছে।\" স্টকারওয়্যারের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তিনি। স্পাইওয়্যার সংস্থাগুলি তাদের এসব পণ্যকে 'কর্মচারী পর্যবেক্ষণ' বা 'বাবা-মায়ের নিয়ন্ত্রণ' পণ্য হিসেবে বিজ্ঞাপিত করে থাকে। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই স্বামী বা স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এমন কিছু ব্যবহার করা বেআইনি। তাই অধিকাংশ এ ধরনের কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে এমন পণ্যের বিজ্ঞাপনে অনেককিছু এড়িয়ে যায়। এর���রও এধরনের অন্তত একটি কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে এমনসব নিবন্ধের লিঙ্ক যুক্ত রেখেছে, যেখানে এসব সফটওয়্যারকে 'স্বামী/স্ত্রী-র সাথে প্রতারণা'র মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটেনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস বলছে, 'স্টকারওয়্যার' ব্যবহার বন্ধের কোনও নির্দিষ্ট আইন যদিও নেই তবে এই জাতীয় অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বা হয়রানি থেকে মুক্তি দেবার আইন রয়েছে। অন্যান্য খবর: মহাসড়কজুড়ে হাজার হাজার ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ সামাজিক নেটওয়ার্ক কীভাবে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে মৃত প্রাণীর সংগ্রহশালা দিয়ে ভিন্ন এক লড়াই জীবন বাজি রেখে ব্রিটেনে আসতে মরিয়া ভিয়েতনামীরা কনটেইনারে লুকিয়ে ব্রিটেনে ঢোকার বিপদজনক চেষ্টা", "doc2": "Ce sont des \"logiciels potentiellement nuisibles\" \"Il lâchait des bribes dans les conversations. Des choses vraiment intimes qu'il n'aurait pas dû savoir. Si je lui demandais comment il savait ces choses, il répondrait que je le lui ai dit et m'accuserait de les avoir oubliées\", dit-elle. Amy - ce n'est pas son vrai nom - commence aussi à se demander comment il semblait savoir où elle était tout le temps. \"Parfois, il disait qu'il me voyait dans un café où je rencontrais mes amis et qu'il ne faisait que passer par hasard. J'ai commencé à tout remettre en question et à ne faire confiance à personne, même à mes amis\", dit-elle. Pendant des mois, ces incidents se sont accumulés, transformant un mariage violent en un cauchemar qui s'est terminé de façon effrayante après un voyage familial à Halloween. \"Nous avions visité un champ de citrouilles et passions un des rares bons week-end. Notre fils de six ans jouait par terre et il était si heureux \", dit Amy. \"Mon mari m'a passé son téléphone pour me montrer une photo qu'il avait prise à la ferme et en une fraction de seconde, j'ai vu une alerte apparaître sur son écran: \"le rapport quotidien sur le Mac d'Amy est prêt à être vu\". J'ai senti ce frisson me traverser et j'ai arrêté de respirer pendant une minute. J'ai dû m'excuser et faire semblant d'avoir besoin des toilettes. Je devais être là pour mon fils et faire comme si je n'avais rien vu. Dès que j'ai pu, je suis allé à la bibliothèque pour utiliser l'ordinateur et chercher les logiciels espions qu'il avait utilisés. C'est là que tout a pris son sens après des mois à penser que je devenais folle.\" Ces logiciels sont souvent installés à l'insu des propriétaires de téléphone Stalkerware - aussi connu sous le nom de spouseware - sont de puissants logiciels de surveillance généralement vendus ouvertement en ligne. Sur un appareil, tous les messages peuvent être lus, l'activité à l'écran enregistrée, les positions GPS suivies et les caméras utilisées pour espionner ce qu'une personne fait. Selon la société de cybersécurité Kaspersky, le nombre de personnes qui ont découvert de tels logiciels sur leurs appareils a augmenté d'au moins 35% au cours de l'année dernière. Les chercheurs de Kaspersky affirment que leurs technologies de protection ont détecté des logiciels de traque sur 37 532 appareils jusqu'à présent cette année. Et David Emm, chercheur principal en sécurité, affirme qu'il ne s'agit là que de la \"pointe d'un très gros iceberg\". \"La plupart des gens protègent régulièrement un ordinateur portable ou un ordinateur de bureau, peu d'entre eux protègent en fait un appareil mobile \", dit-il. \"Ces informations reviennent des installations de notre produit sur les smartphones donc ce chiffre ne se rapproche même pas de ce que le total serait.\" Les conclusions de Kaspersky indiquent que la Russie est le pays avec les plus hauts niveaux d'activité en matière de logiciels harceleurs. L'Inde, le Brésil, les États-Unis et l'Allemagne complètent le top cinq, le Royaume-Uni se classant huitième avec 730 détections. Une autre entreprise de sécurité affirme qu'il existe des mesures pratiques que les gens peuvent prendre s'ils soupçonnent qu'ils sont déjà espionnés. \"Il est toujours recommandé de vérifier quelles applications se trouvent sur votre téléphone et d'effectuer un scan antivirus si nécessaire et s'il y a des applications sur votre appareil que vous ne reconnaissez pas, il vaut la peine de rechercher en ligne les critiques et de les supprimer\", explique Jake Moore, de Eset. Lire aussi: \"En règle générale, si vous n'utilisez pas une application, supprimez-la\", conseille M. Moore. Une fois qu'Amy a réalisé que son ordinateur avait été compromis, elle a développé une profonde méfiance à l'égard de la technologie, qu'elle ne fait que surmonter. Les organismes de bienfaisance affirment qu'il s'agit d'une réaction psychologique courante à un tel traumatisme. Jessica était une autre victime de harceleur. Son ex-mari l'espionnait régulièrement dans le microphone de son téléphone et jouait à des jeux d'esprit en répétant des phrases spécifiques qu'elle et ses amis avaient utilisées dans des conversations privées. Stakerware est souvent utilisé pour localiser les victimes et lire leur messages Cela fait des années qu'elle l'a quitté, mais elle laisse toujours son téléphone verrouillé dans la voiture quand elle voit ses amis. Gemma Toynton, de l'organisme caritatif Safer Places, dit qu'elle voit beaucoup cet effet à long terme dans ses cas. \"Ça réduit la confiance de quelqu'un\", dit-elle. \"Cela leur fait voir un téléphone ou un ordinateur portable comme une arme, parce que c'est à cela qu'ils l'ont utilisé. \"La technologie est devenue, dans leur esprit, comme un filet autour d'eux et beaucoup de gens se méfient de l'utilisation d'Internet. \"Ça a vraiment un impact sur toute ta vie. Le fait que ce harceleur soit de plus en plus fréquent est une réelle préoccupation.\" Amy, qui vient des États-Unis, est maintenant divorcée et vit à des milliers de kilomètres de son ex-mari. Elle a obtenu une ordonnance restrictive l'empêchant d'entrer directement en contact avec elle et il est légalement autorisé à communiquer la logistique concernant la garde de leur fils par lettre écrite seulement. Lire aussi: J'ai testé l'un des produits de consommation les plus populaires, qui coûte 140 £ pour trois mois de surveillance. Je l'ai acheté en ligne et je l'ai installé sur mon téléphone de travail. Cela m'a pris environ une heure et j'ai utilisé l'assistance en direct 24 heures sur 24 offerte par l'entreprise lorsque j'ai rencontré des problèmes. Les sociétés de logiciels espions font de la publicité pour leurs services en tant que produits de \"surveillance des employés\" ou de \"contrôle parental\". Dans de nombreux pays, y compris le Royaume-Uni, l'utilisation de logiciels espions sur un conjoint sans son autorisation est illégale, de sorte que de nombreux sites Web des entreprises sont parsemés d'avertissements déconseillant cette pratique. Cependant, certains de ces mêmes sites Web proposent des liens vers des articles, apparemment écrits par des associés, qui recommandent le logiciel comme outil d'espionnage pour \"tromper les épouses et les maris\". Mise à l'épreuve Les hackers utilisent les empreintes digitales des victimes pour accéder aux téléphones afin d'installer le logiciel. Lors d'un chat en direct avec l'entreprise dont je testais le produit, je leur ai directement dit : \"Je veux l'installer sur le téléphone de ma femme, ce sera secret ?\" Le représentant du service à la clientèle a répondu : \"l'application commencera à fonctionner en mode furtif juste après l'installation. Je serai ravi de vous aider.\" J'ai également téléchargé cinq des meilleurs produits de cybersécurité sur le mobile infecté et j'ai effectué un scan gratuit. Tous ont donné des alertes pour des \"logiciels potentiellement nuisibles\". Lire aussi: Le Crown Prosecution Service affirme qu'il n'existe pas de lois spécifiques relatives à l'utilisation de logiciels de harcèlement criminel, mais que toute activité criminelle de ce type peut être poursuivie par un certain nombre de moyens, dont la Protection from Harassment Act 1997. Amy déclare qu'il faudrait faire plus pour légiférer contre l'utilisation de ces technologies. \"Ils doivent cesser de se cacher derrière un déni plausible\", dit-elle. \"Il y a un clin d'oeil quand ils envoient ce petit avertissement qui dit : \"nous n'approuvons pas le fait que tu espionnes ta femmes. Mais ils savent ce que font leurs clients. Ce logiciel cause de vrais dommages\", conclut-elle."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50228982", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50215735", "doc1": "বর্তমানে ওই এলাকা লবণের মরুভূমি হয়ে আছে, কিন্তু এক সময় এখানে বিশাল একটি হ্রদ ছিল বর্তমানে ওই এলাকা লবণের মরুভূমি হয়ে আছে, কিন্তু এক সময় এখানে বিশাল একটি হ্রদ ছিল, যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষরা দুই লাখ বছর আগে বসবাস করতেন। গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পাল্টে যাওয়ার আগে পর্যন্ত, প্রায় ৭০ হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করেছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। উর্বর সবুজ করিডোর উন্মুক্ত হওয়ার পর তারা সেখান থেকে সরে যেতে শুরু করে। এভাবে আফ্রিকার বাইরে পরবর্তী অভিবাসন প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। ''এটা বেশ কিছুদিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, শারীরিকভাবে আধুনিক মানুষ প্রায় দুই লাখ বছর পূর্বে আফ্রিকায় দেখা যেতে শুরু করেছে।'' বলছেন অধ্যাপক ভেনেসা হেইস, অস্ট্রেলিয়ার গার্ভান ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল রিসার্চের একজন জিন বিজ্ঞানী। ''কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যা নিয়ে বিতর্ক চলছে, তা হলো ঠিক কোন স্থান থেকে এই মানুষদের দেখা যেতে শুরু করে এবং কেন আমাদের পূর্বপুরুষরা পরবর্তীতে আলাদা হয়ে ছড়িয়ে যায়।'' অধ্যাপক হেইসের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য এই খাতের অন্য গবেষকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। হ্রদ ঘেরা স্বর্গ যে এলাকায় আমাদের পূর্বপুরুষের উৎপত্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটি হলো জাম্বেজি অববাহিকার দক্ষিণের একটি এলাকা, যা উত্তর বতসোয়ানায় অবস্থিত। গবেষকরা ধারণা করছেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকার বিশাল হ্রদ ব্যবস্থার কাছাকাছি বাসস্থান তৈরি করেছিলেন, যাকে বলা হয় লেক মাকগাডিকাগাদি, যা বর্তমানে শুকিয়ে দিয়ে আঁকাবাঁকা লবণ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ''এটা সত্যিই বিশাল একটা এলাকা, তখন এটা হয়তো খুব আর্দ্র আর উষ্ণ ছিল,'' বলছেন অধ্যাপক হেইস। ''এবং এটা তখন আধুনিক মানুষ ও আশেপাশের বুনো জীবজন্তুর জন্য একটি উপযুক্ত বাসস্থান তৈরি করে দিয়েছিল।'' আরো পড়ুন: বেঁচে থাকার জন্যে কেন ৫৩৬ খৃস্টাব্দ ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ? মানুষ কী করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? মানুষের দ্রুত রাগের পেছনে রহস্য কী? নামিবিয়ার কালাকারি মরুভূমিতে স্থানীয়দের কাছ থেকে আগুন জ্বালানো শিখছেন অধ্যাপক হেইস সেখানে প্রায় ৭০ হাজার বছর বসবাসের পরে সেই মানুষরা অন্যত্র সরে যেতে শুরু করে। পুরো অঞ্চল জুড়ে বৃষ্টির ধারা পাল্টে যাওয়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার বছর থেকে ১ লাখ ১০ হাজার বছর আগে তিন দফায় অভিবাসন হয়। তখন তাদের সামনে তৈরি হওয়া একটি সবুজ উর্বর করিডোর দিয়ে এই অভিবাসন সম্পন্ন হয়। প্রথম দফার অভিবাসীরা উত্তর-পূর্ব দিকে যায়, পরের দলটি যায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আর তৃতীয় দলটি তাদের পুরনো ঠিকানাতেই থেকে যায়, যারা এখনো সেখানে আছে। মায়ের দিক থ���কে শিশুদের মধ্যে যে ডিএনএ আসে, সেরকম শত শত ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে মানুষের পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য বের করা হয়েছে। কিন্তু সেই ডিএনএ-র জিনগত তথ্যের সঙ্গে ভূগোল, কম্পিউটারের মাধ্যমে জলবায়ুর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা সেই সময়ে একটি চিত্র এঁকেছেন, ঠিক দুই লাখ বছর আগে আফ্রিকান মহাদেশ যেমন ছিল। মানব ইতিহাসের পুনর্গঠন তবে জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এই গবেষণাকে সাধুবাদ জানালেও, একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, শুধুমাত্র ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষের উৎস মূল সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে না। জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে পূর্ব আফ্রিকার মানুষের উৎস সম্পর্কে অন্য গবেষকরা ভিন্ন ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন। লন্ডনের নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়ামের অধ্যাপক ক্রিস স্ট্রিংগার বলছেন, মানুষের বিবর্তনের বিষয়টি জটিল একটা ব্যাপার ছিল। ''আপনি আধুনিক মাইটোকন্ড্রিয়াল বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে আধুনিক মানুষের উৎস হিসাবে শুধুমাত্র একটি স্থানকে চিহ্নিত করতে পারবেন না।'' তিনি বিবিসিকে বলেছেন। ''আমি মনে করি, এখানে অতিরিক্ত তথ্য বলা হচ্ছে, কারণ আপনি শুধুমাত্র জিনের ক্ষুদ্র একটি অংশকে এখানে বিশ্লেষণ করছেন, যা আমাদের উৎপত্তি সম্পর্কে পুরো তথ্য দিতে পারবে না।'' সুতরাং, হয়তো মানুষের আরো অনেক আদি বাসস্থান ছিল, যা হয়তো এখনো ঠিকভাবে সনাক্ত করা যায়নি। মানব ইতিহাসের বিবর্তনের মাইলফলক", "doc2": "Le paysage est beaucoup plus sec aujourd'hui La région est maintenant dominée par des marais salants, mais elle abritait autrefois un énorme lac, qui pourrait avoir été notre berceau il y a 200 000 ans. Nos ancêtres s'y sont installés pendant 70 000 ans, jusqu'à ce que le climat local change, ont avancé les chercheurs. Selon, eux, ils ont commencé à se déplacer au fur et à mesure que des couloirs verts fertiles se créent, ouvrant la voie à de futures migrations hors d'Afrique. A lire aussi: Quel singe avancé était l'ancêtre direct de l'humanité ? L'homo sapiens, l'ancêtre de l'homme moderne, n'était pas seul \"Il est clair depuis un certain temps que les humains anatomiquement modernes sont apparus en Afrique il y a environ 200 000 ans \", a déclaré le professeur Vanessa Hayes, généticienne au Garvan Institute of Medical Research en Australie. \"Ce qui a été longuement débattu, c'est le lieu exact de cette émergence et de la dispersion subséquente de nos premiers ancêtres\", a -t-elle ajouté. Les conclusions du professeur Hayes ont toutefois suscité le scepticisme d'autres chercheurs dans ce domaine. Havre de Lakeland La zone en question se trouve au sud du bassin du Zambèze, dans le nord du Botswana. Les chercheurs pensent que nos ancêtres se sont établis près de l'immense système lacustre de l'Afrique, connu sous le nom de lac Makgadikgadi, qui est maintenant une région de vastes plaines salées. A lire aussi: La doyenne de l'humanité meurt à 117 ans L'ancêtre des Britanniques avait était un noir aux yeux bleus \"C'était une zone extrêmement vaste, elle aurait été très humide, très luxuriante \", a déclaré le professeur Hayes pour qui, \"elle aurait fourni un habitat convenable pour les humains et la faune modernes.\" Après y être resté pendant 70 000 ans, les gens ont commencé à émigrer. L'évolution des précipitations dans la région a entraîné trois vagues de migration il y a 130 000 et 110 000 ans, sous l'effet de l'ouverture de corridors de terres vertes et fertiles. Le professeur Hayes apprend à faire du feu avec les chasseurs de Jul'hoansi dans le grand Kalahari de Namibie. Les premiers migrants se sont aventurés vers le nord-est, suivis d'une deuxième vague de migrants qui ont voyagé vers le sud-ouest et une troisième population est restée dans le pays d'origine jusqu'à aujourd'hui. Ce scénario est basé sur le traçage de l'arbre généalogique humain en utilisant des centaines d'échantillons d'ADN mitochondrial (le morceau d'ADN qui passe de la mère à l'enfant le long de la lignée maternelle) d'Africains vivants. A lire aussi: AfSud: un ancêtre de l'homme dévoilé Homo sapiens: la découverture qui impose une révision des manuels d'histoire En combinant la génétique avec la géologie et les simulations de modèles climatiques par ordinateur, les chercheurs ont pu brosser un tableau de ce qu'aurait pu être le continent africain il y a 200 000 ans. Reconstituer l'histoire humaine Cependant, l'étude, publiée dans la revue Nature, a été accueillie avec prudence par un expert, qui estime qu'on ne peut pas reconstruire l'histoire des origines humaines à partir de l'ADN mitochondrial seul. D'autres analyses ont donné des réponses différentes avec des découvertes de fossiles faisant allusion à une origine d'Afrique de l'Est. Chris Stringer, du Natural History Museum de Londres, qui n'est pas lié à l'étude, a déclaré que l'évolution de l'Homo sapiens était un processus complexe. A lire aussi: Que sont les embryons mi-homme mi-animal dont le Japon a autorisé la création ? Le singe, une viande très prisée en Centrafrique \"On ne peut pas utiliser les distributions mitochondriales modernes pour reconstruire à elles seules un lieu unique d'origine humaine moderne \", a-t-il déclaré à la BBC. Pour lui, \"c'est exagéré parce qu'on ne regarde qu'une infime partie du génome, donc ça ne peut pas vous donner toute l'histoire de nos origines.\" Ainsi, il aurait pu y avoir beaucoup de pays d'origine, plutôt qu'un seul, qui n'ont pas encore été délimités. Les grandes étapes de l'évolution de l'histoire de l'humanité"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54177922", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54177126", "doc1": "টেলিভিশন তারকা কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট \"সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে ভুয়া খবর শেয়ার করা হচ্ছে তার একটা গুরুতর প্রভাব পড়ছে,'' মঙ্গলবার এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন কিম কার্দাশিয়ান। নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা #StopHateforProfit ( ঘৃণার বিনিময়ে মুনাফা অর্জন বন্ধ করো) এই হ্যাশট্যাগ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে তারই অংশ হিসাবে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারকারা তাদের অ্যাকাউন্ট আজ চব্বিশ ঘন্টার জন্য পুরো বন্ধ রাখছেন। \"কিছু কিছু গোষ্ঠী আমেরিকাকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, যেভাবে প্রচারণা ও ভুয়া তথ্য শেয়ার করছে এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো যেভাবে তা চলতে দিচ্ছে - তাতে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না,'' বলেছেন কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট। ''সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্যপ্রবাহ আমেরিকার নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে,'' তিনি বলেছেন। সামাজিক মাধ্যম বয়কট করার এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন অন্যান্য যেসব বড় বড় তারকা তাদের মধ্যে আছেন লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও, সাচা ব্যারন কোহেন, জেনিফার লরেন্স এবং গায়িকা কেটি পেরি। ''যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ছড়ানোর লক্ষ্যে পোস্ট দিচ্ছে, সেসব গোষ্ঠী বা পোস্টের ব্যাপারে এস�� প্ল্যাটফর্ম-এর উদাসীনতা সম্পর্কে আমি মুখ বুঁজে থাকতে পারি না,'' ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন কেটি পেরি। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা অ্যাশটন কুচারের অনুসারী কয়েক লক্ষ। তিনিও এই বয়কট আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলেছেন \"ঘৃণা, বিদ্বেষ (এবং) সহিংসতা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো তৈরি করা হয়নি\"। আরও পড়তে পারেন: কেটি পেরি এবং অরল্যান্ডো ব্লুম-ও এই বয়কট আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন #StopHateforProfit campaign, এর উদ্যোক্তারা এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুন মাসে। তাদের অভিযোগ ছিল ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ঘৃণা উদ্রেককারী মন্তব্য এবং ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বন্ধ করার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই গোষ্ঠীটির মূল টার্গেট ফেসবুক, কারণ তারা ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ-এরও মালিক। গত বছর তারা বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছিল প্রায় সাত হাজার কোটি ডলার। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান নাগরিক আন্দেলন গোষ্ঠী। যাদের মধ্যে রয়েছে বর্ণ সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে আমেরিকায় প্রথম সারির কিছু আন্দোলনকারী গোষ্ঠী । ''আমেরিকার ইতিহাসে একটা অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন খুব শিগগিরি হতে যাচ্ছে,'' এধরনের একটি আন্দোলন গোষ্ঠী এনএএসিপি মন্তব্য করেছে। \"ফেসবুক যেহেতু এধরনের মন্তব্যের ব্যাপারে রাশ টানছে না,এবং তাদের 'পরিবর্তন'ও এতই অস্পষ্ট যা আমাদের গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখতে যথেষ্ট নয় এবং এক কথায় বিপদজনক।'' জুন মাসে ফেসবুক জানায় তারা ক্ষতিকর হতে পারে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন পোস্টের সংবাদ গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সে সম্পর্কে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেবে। মার্ক জাকারবার্গ ইতোমধ্যেই বলেছেন ফেসবুক ঘৃণা উদ্রেককারী কন্টেন্ট ছড়ানোর ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেবে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ একথাও বলেন যে, \"কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠী, বর্ণ সম্প্রদায়, জাতীয় পরিচয়, ধর্ম বিশ্বাস, লিঙ্গ পরিচিতি বা অভিবাসন অবস্থানের যে কোন মানুষকে\" যদি অন্যের জন্য হুমকি হিসাবে দাবি করে কোন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, তার কোম্পানি তা নিষিদ্ধ করে দেবে। ''আমেরিকায় ২০২০-র নির্বাচন যে খুবই উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে,'' তিনি এক বিবৃতিতে লিখেছেন। ''এ সময়ে সবাইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সবাইকে অবগত রাখতে ফেসবুক বাড়তি সতর্কতা নেবে।'' কিন্তু #StopHateforProfit আন্দোলন গোষ্ঠী ফেসবুককে আরও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, এবং ৯০টির বেশি সংস্থা ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে। এই বয়কটের কারণে ফেসবুকের শেয়ার নাটকীয়ভাবে পড়ে গেছে। আমেরিকার গণমাধ্যম জানাচ্ছে মি. জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ এর ফলে ৭২০ কোটি ডলার কমে গেছে। বিশ্ব ব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এবং নীতি নির্ধারকরা সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক পোস্টের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। শুধু ফেসবুকে নয়, সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে। এই সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলায় কীধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে অনেক দেশই তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছে।", "doc2": "\"La désinformation diffusée sur les médias sociaux a un impact sérieux\", écrit Kardashian West dans une déclaration mardi. Cette décision s'inscrit dans le cadre de la campagne \"StopHateforProfit\", organisée par des militants des droits civiques. Les célébrités vont geler leurs comptes pendant 24 heures mercredi. A lire aussi Kim Kardashian annonce la fin de \"La famille Kardashian\" Kim Kardashian victime d'un vol à main armée Un boycott pourrait-il tuer Facebook ? \"Je ne peux pas rester assis et silencieux pendant que ces plateformes continuent à permettre la diffusion de la haine, de la propagande et de la désinformation - créées par des groupes pour semer la division et diviser l'Amérique\", déclare Kardashian West. \"La désinformation diffusée sur les médias sociaux a un impact sérieux sur nos élections et sape notre démocratie\", ajoute la star de la télé réalité. Parmi les autres célébrités qui ont accepté de prendre part au boycott figurent les acteurs Leonardo DiCaprio, Sacha Baron Cohen et Jennifer Lawrence, ainsi que la chanteuse Katy Perry. Katy Perry et Orlando Bloom ont également rejoint le boycott \"Je ne peux pas rester les bras croisés pendant que ces plates-formes ferment les yeux sur des groupes et des messages diffusant une désinformation haineuse\", écrit Katy Perry sur Instagram. L'acteur Ashton Kutcher, qui a des millions de fans et qui se joint également au boycott, juge que \"ces outils n'ont pas été conçus pour répandre la haine [et] la violence\". Les organisateurs de la campagne #StopHateforProfit, lancée en juin, accusent Facebook et Instagram de ne pas faire assez pour mettre fin aux discours de haine et à la désinformation. Le groupe s'est concentré sur Facebook, qui possède également Instagram et WhatsApp, et a généré l'année dernière des revenus publicitaires de près de 70 milliards de dollars. Des milliers d'entreprises et de grands groupes de défense des droits civils, dont la National Association for the Advancement of Colored People (NAACP) et l'Anti-Defamation League (AD), adhérent à la campagne. \"Nous approchons rapidement de l'une des élections les plus importantes de l'histoire américaine\", soutient le groupe dans une déclaration. Les \"changements\" vagues et incontrôlés de Facebook sont dangereusement insuffisants pour protéger notre démocratie\". En juin, Facebook a annoncé qu'il allait étiqueter les messages potentiellement dangereux ou trompeurs laissés pour leur valeur informative. Kim Kardashian West a déclaré qu'elle se joindrait à un boycott de Facebook et Instagram Le fondateur de Facebook, Mark Zuckerberg, a également déclaré que la société de médias sociaux interdirait les publicités contenant des allégations \"selon lesquelles des personnes d'une race, d'une ethnie, d'une origine nationale, d'une affiliation religieuse, d'une caste, d'une orientation sexuelle, d'une identité de genre ou d'un statut d'immigration spécifique\" constituent une menace pour les autres. \"Les élections de 2020 s'annoncent déjà passionnantes\", a-t-il écrit dans une déclaration. \"Pendant ce temps, Facebook prendra des précautions supplémentaires pour aider tout le monde à rester en sécurité [et] à rester informé\". Mais la campagne \"StopHateforProfit\" appelle à faire plus, et plus de 90 entreprises ont interrompu leur publicité pour soutenir ses efforts. À la suite du boycott, les actions de Facebook ont chuté de manière spectaculaire et les médias américains ont rapporté que 7,2 milliards de dollars avaient été retranchés de la valeur nette personnelle de M. Zuckerberg. Les régulateurs et les décideurs politiques du monde entier sont préoccupés par la croissance des discours de haine, non seulement sur Facebook mais aussi sur toutes les plateformes de médias sociaux, de nombreux pays lançant des enquêtes sur la manière dont les entreprises technologiques traitent ce problème."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56699836", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56702815", "doc1": "তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে ৭৩ বছরের বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে তিনিই কোন রাজা বা রানির সবচেয়ে দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ছিলেন। রাজপরিবারে কারা আছেন? রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘসময় সিংহাসনের আসীন রাজ পরিবারের সদস্য। তিনি যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ৯৪ বছর বয়সী রানি ও তার সদ্যপ্রয়াত স্বামী চার সন্তান, আট জন নাতি নাতনী ও নয় জন প্রোপৌত্র-প্রোপৌত্রি আছেন। ১৯৪৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা: * প্রিন্স অব ওয়েলস (প্রিন্স চার্লস),৭২, বিয়ে করেছেন ডাচেস অফ কর্নওয়ালকে (ক্যামিলা)কে বিয়ে করেছেন। রানির বড় সন্তান প্রিন্স চার্লস রানির মৃত্যুর পর রাজা হবেন। * ডিউক অব ক্যামব্রিজ (প্রিন্স উইলিয়াম) বিয়ে করেছেন ডাচেস অব ক্যামব্রিজকে (ক্যাথরিন) - প্রিন্স উইলিয়াম প্রিন্স অব ওয়েলস ও প্রিন্সেস অব ওয়েলসের (ডায়ানা) বড় সন্তান। * ডিউক অব সাসেক্স (প্রিন্স হ্যারি) উইলিয়ামের ভাই - বিয়ে করেছেন ডাচেস অব সাসেক্সকে (মেগান)। গত বছর তারা সিনিয়র রয়্যালের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। তারা এখন আমেরিকার লস এঞ্জেলসে বাস করছেন। যেভাবে হওয়া যায় র‍য়্যাল বা রাজপরিবারের সদস্য রাজপরিবারের কোন সদস্যের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে হতে পারেন এবং বিয়ের পর তাকে একটি রাজকীয় উপাধি দেয়া হয়। উদাহরণস্বরুপ, লেডি ডায়ানা স্পেন্সার ১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লসকে বিয়ের পর প্রিন্সেস অব ওয়েলস হয়েছিলেন। তবে রাজা বা রানি হতে হলে তাকে অবশ্য রাজপরিবারেই জন্ম নিতে হবে। এখন সিংহাসনের উত্তরাধকার প্রিন্স চার্লস, তারপর দ্বিতীয় প্রিন্স উইলিয়াম, তারপর উইলিয়ামের বড় সন্তান প্রিন্স জর্জ তৃতীয় উত্তরাধিকার। রাজকীয় বিয়েতে যা হয় রাজকীয় বিয়ে সাধারণত বেশ প্রাচীন ও বড় কোন জায়গায় হয়, যেখানে বহু লোকসমাগম হয়। রানি ও প্রিন্স ফিলিপের বিয়ে হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে, যা ৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এটি পার্লামেন্টের সাথেই। এর ছয় দশক পর ২০১১ সালে একই জায়গায় মানুষ সমবেত হয়েছিলো তাদের নাতি উইলিয়াম ও ক্যাথেরিন মিডেলটনের বিয়ে উদযাপনে। ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ অন্য রাজকীয় বিয়েগু উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে হয়েছে, যা প্রায় নয়শ বছরের পুরনো। সেখানে ২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ে হয়েছিলো। রাজপরিবারে শিশু জন্ম নিলে কী হয় রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের জন্ম হয়েছে লন্ডনের সেন্ট ম্যারি হাসপাতালে। প্রিন্সেস ডায়ানা প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির জন্ম দিয়েছেন সেখানে। ডাচেস অব ক্যামব্রিজের তিন সন্তান: প্রিন্স জর্জ সপ্তম, প্রিন্সেস শার্লট পঞ্চম ও প্রিন্স লুইস দ্বিতীয়র জন্মও হয়েছে এই হাসপাতালেই। সন্তান জন্মদানের পর দুজনেই হাসপাতালের বাইরে এসে নিজ নিজ স্বামী ও সদস্যভূমিষ্ট সন্তানদের সাথে ছবি তুলেছেন। ১৯৮২ সালে জন্ম হয় প্রিন্স উইলিয়ামের রাজপরিবার কী করে? ব্রিটিশ সরকারকে বলা হয় হার মেজেস্টি'স গভর্নমেন্ট, যদিও রানির কার্যত কোন রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। রানি সপ্তাহে একদিন প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষাৎ দেন, যেটি মূলত সরকারে তার অবস্থানকে মনে করিয়ে দেয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রানির কোন অনুমোদন চান না। রানি ও রাজপরিবারের অন্য সিনিয়র সদস্যরা অফিসিয়াল কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরিবারের সদস্যরা অন্য দেশে ভ্রমণের সময় রানিকে প্রতিনিধিত্ব করেন। যেমন ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ গত মার্চে আয়ারল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছেন। আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ তাদের অনেকে নানা দাতব্য সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং কেউ নিজেও প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেমন ডিউক অব এডিনবারা অ্যাওয়ার্ড প্রকল্প আছে তরুণদের জন্য। সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। প্রিন্স উইলিয়াম রাজকীয় বিমান বাহিনী ও প্রিন্স হ্যারি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। আফগানিস্তানে প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবারের সদস্যরা কি সবসময় সরকারি দায়িত্ব পালন করেন? না। গত বছর প্রিন্স হ্যারি ও মেগান, ডাচেস অব সাসেক্স, ঘোষনা করেন যে তারা রাজকীয় দা��়িত্ব থেকে সরে যাবেন এবং স্বাধীন উপার্জনের জন্য কাজ করবেন। বাকিংহ্যাম প্যালেস নিশ্চিত করে যে, এই দম্পতি সেনাবাহিনীতে তাদের সম্মানজনক পদ ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা ফিরিয়ে দেবেন, যা রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে পুনঃবণ্টন করা হবে। প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স ডিউক অব ইয়র্ক (প্রিন্স এন্ড্রু) রাজকীয় দায়িত্ব থেকে ২০১৯ সালে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একজন যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সাথে বন্ধুত্বের কথা স্বীকার পরার পর এ ঘটনা ঘটে। রাজপরিবারের অর্থ আসে কোথা থেকে প্রতি বছর যুক্তরাজ্য সরকার রানিকে বরাদ্দ দেয় যা সভরেন গ্রান্ট হিসেবে পরিচিত। ক্রাউন এস্টেটের দ্বিবার্ষিক রাজস্ব আয়ের শতকরা পচিশ শতাংশের ওপর ভিত্তি করে এটি দেয়া হয়। ক্রাউন এস্টেট একটি স্বাধীন বানিজ্যিক প্রোপার্টি ব্যবসা। এর আওতায় আছে ৪৮০০ একর উইন্ডসর গ্রেট পার্ক ও বার্কশায়ারে দি আস্কট রেসকোর্স। তরে বেশিরভাগ আবাসিক ও বানিজ্যিক সম্পত্তি। সভরেন গ্রান্ট ২০২০-২১ সালে ছিলে ৮৫দশমিক ৯ মিলিয়ন পাউন্ড। যা রাজকীয় দায়িত্ব সম্পাদন ও রাজকীয় জায়গাগুলোর রক্ষণাবেক্ষনে ব্যয় হয়। প্রিন্স চার্লস ডাচি অব কর্নওয়েল থেকে বছরে ২২.৩ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেন। এটি মূলত সম্পত্তি এবং বিনিয়োগের এক বিস্তৃত পোর্টফোলিও। ২০১৯ সালে রানির জন্মদিনে বাকিংহাম প্রাসাদে রাজপরিবারের সদস্যরা রাজপরিবারের সদস্যরা কোথায় বাস করেন লন্ডেনে রানির সরকারি বাড়ির নাম বাকিংহাম প্রাসাদ। সাধারণত সপ্তাহান্তে তিনি কাটান বার্কশায়ারে উইন্ডসর ক্যাসেলে। আর ঈস্টারের সময় পুরো এক মাস কাটান। তবে মহামারির পুরো সময় রানি সেখানে আছেন এবং প্রিন্স ফিলিপ সেখানেই মারা গেছেন। লন্ডনে থাকার সময় প্রিন্স চার্লস ও ডাচেস অব কর্নওয়েল ক্লারেন্স হাউজে থাকেন। এটি বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে প্রায় আধামাইল দূরে। প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজও কাছেই কেনসিংটন প্রাসাদে বসবাস করেন।", "doc2": "Il était marié à la Reine depuis 73 ans et était le plus ancien consort royal de l'histoire britannique. Qui fait partie de la famille royale ? La reine Elizabeth II est le chef d'État du Royaume-Uni depuis 1952, année de la mort de son père, le roi George VI. Elle a régné plus longtemps que tout autre monarque britannique. Elle est également le chef d'État de 15 autres pays du Commonwealth. La monarque de 94 ans et son défunt mari, le prince Philip, ont quatre enfants, huit petits-enfants et neuf arrière-petits-enfants. La princesse Elizabeth épouse le prince Philip en 1947 Les autres membres de la famille royale sont : Comment devient-on royal ? Une personne qui épouse un membre de la famille royale devient un membre de la famille royale et se voit attribuer un titre lors de son mariage. Par exemple, Lady Diana Spencer est devenue princesse de Galles lorsqu'elle a épousé le prince Charles en 1981. Toutefois, pour devenir roi ou reine, il faut être né dans la famille royale. Le prince Charles est le premier en ligne pour le trône. Son fils aîné, le prince William, est le deuxième, et le fils aîné de William, le prince George, est le troisième. Que se passe-t-il lors des mariages royaux ? Les mariages royaux ont souvent lieu dans certains des lieux les plus anciens et les plus grandioses, et attirent des foules immenses. La reine et le prince Philip se sont mariés en 1947 à l'abbaye de Westminster, fondée en 960 après J.-C. et située à côté des Chambres du Parlement. Plus de six décennies plus tard, en 2011, la foule s'est massée devant l'abbaye pour célébrer le mariage de son petit-fils William avec Catherine Middleton. Ils sont devenus le duc et la duchesse de Cambridge. Le duc et la duchesse de Cambridge ont voyagé en calèche de l'abbaye de Westminster au palais de Buckingham. D'autres membres de la famille royale ont échangé leurs vœux à la chapelle Saint-Georges du château de Windsor, qui a plus de 900 ans. Parmi les mariages qui y ont été célébrés, citons celui du prince Harry avec Meghan Markle en 2018. Et que se passe-t-il quand il y a un bébé royal ? Un certain nombre de membres de la famille royale sont nés à l'hôpital St Mary de Londres. La princesse Diana y a donné naissance au prince William et au prince Harry, et la duchesse de Cambridge à ses trois enfants : le prince George, sept ans, la princesse Charlotte, cinq ans, et le prince Louis, deux ans. Les deux femmes ont été photographiées avec leurs maris et leurs bébés devant l'hôpital. Le prince William est né en 1982 Que fait la famille royale ? Le gouvernement britannique s'appelle le gouvernement de Sa Majesté, mais la reine n'a pratiquement aucun pouvoir politique. La reine rencontre le premier ministre une fois par semaine, pour lui rappeler sa place au sein du gouvernement, mais le premier ministre ne lui demande pas d'approuver ses politiques. La reine et les autres membres de la famille royale ont des engagements officiels. Les membres de la famille la représentent également lors de visites dans d'autres pays. Par exemple, le duc et la duchesse de Cambridge ont effectué une visite officielle en République d'Irlande en mars dernier. Le duc et la duchesse de Cambridge ont rencontré le président irlandais Michael D. Higgins à sa résidence lors de leur visite en République d'Irlande. Nombre d'entre eux sont les parrains d'organisations caritatives, et certains ont créé leur propre organisation, comme le programme du Prix du Duc d'Édimbourg pour les jeunes. Ils ont des liens étroits avec les forces armées. Le prince William a servi dans la Royal Air Force et le prince Harry dans l'armée. Le prince Harry a servi en Afghanistan Les membres de la famille royale exercent-ils toujours leurs fonctions officielles ? Non. L'année dernière, le prince Harry et Meghan, duchesse de Sussex, ont annoncé qu'ils allaient prendre du recul et travailler pour devenir financièrement indépendants. Buckingham Palace a confirmé que le couple rendra ses nominations militaires honorifiques et ses patronages royaux, qui seront redistribués aux membres actifs de la famille royale. Le duc et la duchesse de Sussex vivent désormais aux États-Unis avec leur fils. Le duc d'York (prince Andrew) s'est retiré des fonctions royales en 2019. Cette décision fait suite à une interview qu'il a accordée à la BBC au sujet de son amitié avec le délinquant sexuel Jeffrey Epstein. D'où vient l'argent de la famille royale ? Chaque année, le gouvernement britannique verse à la reine un paiement unique appelé \"Sovereign Grant\". Celle-ci est basée sur 25% des revenus du Crown Estate des deux années précédentes. Le Crown Estate est une entreprise indépendante de propriété commerciale. Il comprend le Windsor Great Park (4 800 acres) et l'hippodrome d'Ascot dans le Berkshire, mais il est surtout composé de propriétés résidentielles et commerciales. La subvention souveraine, qui s'élève à 85,9 millions de livres (64 882 850 000 FCFA) pour 2020-21, sert à financer les fonctions royales officielles et à entretenir les palais royaux occupés. Le prince Charles reçoit un revenu du duché de Cornouailles, un vaste portefeuille de biens immobiliers et d'investissements financiers, qui a rapporté 22,3 millions de livres (16 843 860 000 FCFA) l'année dernière. Où vivent les membres de la famille royale ? Les membres de la famille royale ont célébré l'anniversaire officiel de la reine au palais de Buckingham en 2019. La résidence officielle de la reine à Londres est le palais de Buckingham. Elle passe généralement les week-ends et un mois à Pâques au château de Windsor, dans le Berkshire. Elle y a toutefois vécu pendant toute la durée de la pandémie, et c'est au château de Windsor que le prince Philip est d��cédé. Le prince Charles et la duchesse de Cornouailles vivent à Clarence House, à moins d'un kilomètre de Buckingham Palace, lorsqu'ils sont à Londres. Le prince William et Catherine, duchesse de Cambridge, vivent également à proximité, au palais de Kensington."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47235072", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50946991", "doc1": "চীনের প্রথম সম্রাটের একজন দেবতা ছিলেন যিনি গণিত তৈরি করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। সেই গণিত বা অংকের শুরুটা হয়েছিল মিসর, মেসোপটেমিয়া এবং গ্রীসে। কিন্তু এসব সভ্যতার পতনের সাথে সাথে গণিতের পরের ধাপের অগ্রযাত্রা ঘটে পশ্চিমের দেশগুলোতে। এদিকে প্রায় নিঃশব্দেই তখন প্রাচ্যের দেশগুলোতেও গণিত পৌঁছে গেছে নতুন উচ্চতায়। সেসময় প্রাচীন চীনে হাজার মাইল দীর্ঘ প্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে অংকের হিসাবে-- প্রতি পদক্ষেপ গুণে গুণে। আরো পড়ুন: চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীন কি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ? বাংলাদেশকে নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব: নেপথ্যে কী? হারেম ব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল মর্যাদাশীল নারীর গর্ভ থেকে যেন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার আসে। দেশটিতে অংক এত জরুরী ছিল যে সাম্রাজ্যের কার্যক্রম কি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম, তারও ভিত্তি ছিল গণিত বা অংক। গাণিতিক ভালবাসার হিসাবনিকেশ ক্যালেন্ডার ও গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হত সম্রাটের সকল সিদ্ধান্ত, এমনকি তার দিন ও রাতের কর্মকাণ্ডও নির্ধারিত হত এর দ্বারা। সম্রাটের উপদেষ্টারা নতুন এক পদ্ধতি বের করেছিলেন, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হতো হারেমের বিপুল সংখ্যক নারীর সঙ্গে সম্রাটের রাত্রিযাপনের পালাক্রম। কী সেই পদ্ধতি? এই পদ্ধতির মূল ব্যপারটি ছিল গাণিতিক হিসাব যাকে বলা হতে 'জ্যামিতিক ক্রমবৃদ্ধি'। কিংবদন্তী আছে, ১৫ রাতের ব্যবধানে সম্রাটকে ১২১ জন নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হবে। তার ক্রম নির্ধারিত হত এভাবে: * সম্রাজ্ঞী * তিনজন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী * নয়জন পত্নী * ২৭জন উপপত্নী এবং * ৮১জন দাসী প্রতিটি দলে নারীর সংখ্যা তার আগের স্তরের নারীদের তিন গুণ। এর ফলে গাণিতিক হিসাব করে সহজেই একটি রোটা বা তালিকা করে ফেলা যেত যে ১৫ রাতের মধ্যে সম্রাট হারেমের প্রতিজন নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করছেন। 'রাজসিক উদ্যম' প্রথম রাত্রি নির্ধারিত ছিল সম্রাজ্ঞীর জন্য। এরপর পালাক্রমে আসতেন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী এবং পত্নীরা। প্রাচীন চীনে বিশ্বাস করা হত যে প্রতিটি সংখ্যার মহাজাগতিক গুরুত্ব আছে। উপ পত্নীদের তালিকা অনুযায়ী পছন্দ করা হতো, একেক রাতে নয��জন করে। সর্বশেষ নয় রাতে পালা করে ৮১ জন দাসীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন সম্রাট। তালিকায় এটা অবশ্যই নিশ্চিত করা হত যে, মর্যাদায় উচ্চতর অবস্থানে থাকা নারীদের সঙ্গে সম্রাট পূর্ণ-চাঁদের কাছাকাছি সময়ে রাত কাটাবেন। এর মাধ্যমে সম্রাটের উত্তরাধিকার অর্থাৎ তার সন্তান-সন্ততি যেন মর্যাদাশীল নারীর গর্ভে জন্ম নেয় সেটি নিশ্চিত করা হতো। এভাবে সম্রাটের শয্যার রুটিনেই কেবল গণিত নয়, সাম্রাজ্যের বংশ পরম্পরাও সৃষ্টি হত গাণিতিক হিসেব নিকেশ অনুযায়ী। চীনা সাম্রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রেও গণিত এক বিরাট প্রভাব রেখেছিল। গণিত প্রীতি চীন ছিল এক বিশাল ও ক্রমবর্ধনশীল সাম্রাজ্য, যেখানে আইনকানুন খুব কড়া ছিল। ব্যাপক কর দিতে হত নাগরিকদের। চীনের প্রাচীর নির্মান হয়েছিল গাণিতিক সংখ্যাক্রম মেনে। এছাড়া ওজন, মাপজোক আর মুদ্রার প্রচলন ছিল। পশ্চিমের দেশগুলোর এক হাজার বছর আগেই প্রাচীন চীনে দশমিকের ব্যবহার ছিল এবং সমীকরণের সমাধানে তা ব্যবহৃত হত। পশ্চিমের দেশগুলোতে যা উনিশ শতকের শুরুর আগ পর্যন্ত দেখা যায়নি। কিংবদন্তী জনশ্রুতি আছে, চীনের প্রথম সম্রাটের একজন দেবতা ছিলেন, খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০০ সালে যিনি গণিত তৈরি করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি সংখ্যার মহাজাগতিক গুরুত্ব আছে। এমনকি আজকের চীনেও সংখ্যা তত্ত্বের এই গুরুত্বে বিশ্বাস করেন চীনারা। বিজোড় সংখ্যাকে পুরুষ আর জোড় সংখ্যাকে নারী হিসেবে ভাবা হয়। চার সংখ্যাটিকে এড়িয়ে যাওয়া হবে যেকোনো মূল্যে। আট সংখ্যাটি সৌভাগ্য নিয়ে আসে সবার জন্য। প্রাচীন চীনারা সংখ্যার ছক দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খেলা যেমন সুডোকু তৈরি করেছিল। ষষ্ঠ শতকে নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ণয় করে চীনা জ্যোতির্বিদ্যা এই গাণিতিক হিসাবে উপরেই নির্ভর করতো। এমনকি বর্তমানে যে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্রিপ্টোগ্রাফি বা সংকেত-লিপি লেখা হয়, তার ভিত্তিও এই গণিত। চীনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু", "doc2": "Lorsque la Grèce a décliné, les progrès mathématiques en Chine ont atteint de nouveaux sommets Notre voyage mathématique a commencé en Égypte, en Mésopotamie et en Grèce, mais après le déclin de ces civilisations, le progrès mathématique s'est arrêté en Occident. En revanche, en Orient, il atteindra de nouveaux sommets dynamiques. Lire aussi : Dans la Chine antique, les mathématiques étaient la clé des calculs qui allaient permettre d'ériger la Grande Muraille, qui s'étendait sur des milliers de kilomètres. Et les chiffres étaient si importants qu'ils jouaient un rôle vital dans la gestion des affaires de la cour impériale. Planification mathématique de l'amour Le système impérial chinois de harem a tenté de maximiser les chances de succession Le calendrier et le mouvement des planètes influencent toutes les décisions de l'empereur, jusqu'à la façon dont ses jours - et ses nuits - sont planifiés. Les anciens conseillers impériaux ont mis au point un système pour s'assurer que l'empereur dormait parmi le grand nombre de femmes de son harem. Il était basé sur une idée mathématique appelée progression géométrique. Un marché du mariage en Chine Selon la légende, en l'espace de 15 nuits, l'empereur devait dormir avec 121 femmes : Chaque groupe de femmes étant trois fois plus important que le groupe précédent, les mathématiciens ont pu rapidement établir un tour de rôle pour s'assurer qu'en l'espace de 15 nuits, l'empereur couchait avec toutes les femmes du harem. Endurance impériale La légende veut que le premier souverain de la Chine ait fait créer les mathématiques par une de ses divinités en 2800 av. La première nuit était réservée à l'impératrice. La suivante était pour les trois compagnes dexpérience. Les neuf épouses venaient ensuite, puis les 27 concubines étaient choisies à tour de rôle, neuf chaque nuit. Puis finalement, sur une période de neuf nuits, ce fut le tour des 81 esclaves, par groupes de neuf. La rotation assurait que l'empereur couchait avec les femmes de plus haut rang les plus proches de la pleine lune, lorsque leur yin, leur force féminine, serait à son plus haut niveau et pourrait égaler son yang, ou force masculine. Lire aussi : Être le souverain exigeait certainement de l'endurance, mais l'objectif est clair : obtenir la meilleure succession impériale possible. La cour de l'empereur n'était pas la seule à dépendre des mathématiques. Elle était au centre de la gestion de l'État. Fascination mathématique Les anciens Chinois étaient attirés par les modèles en nombre et croyaient qu'ils avaient une signification cosmique La Chine antique était un vaste empire en pleine expansion, doté d'un code juridique strict, d'une fiscalité étendue et d'un système normalisé de poids, de mesures et de monnaie. Elle utilisait un système décimal environ 1 000 ans avant que l'Occident ne l'adopte, et résolvait des équations d'une manière qui n'est apparue en Occident qu'au début du XIXe siècle. Selon la légende, le premier souverain de la Chine, l'empereur jaune, a fait créer les mathématiques par une de ses divinités en 2800 avant J.-C., croyant que les nombres avaient une signification cosmique. Aujourd'hui encore, les Chinois croient au pouvoir mystique des nombres. Lire aussi : Les nombres impairs sont considérés comme des hommes, les nombres pairs comme des femmes. Le nombre quatre est à éviter à tout prix. Le nombre huit apporte la bonne fortune. Les anciens Chinois ont été attirés par les modèles de nombres, développant leur propre version du sudoku. Au 6e siècle de notre ère, le théorème du reste chinois était utilisé dans l'astronomie chinoise ancienne pour mesurer le mouvement des planètes - et il a encore aujourd'hui des utilisations pratiques, par exemple, dans la cryptographie sur Internet. Regarder : Sandhya, Rani et bien d'autres encore partagent leurs calvaires à Bombay."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55328366", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-45497244", "doc1": "লাহোরে সেপ্টেম্বরে হওয়া একটি যৌন নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক রোষ তৈরি করে যৌন নিপীড়কদের জাতীয় তালিকা তৈরি করা, যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীদের রাসায়নিক ভাবে খোজাকরণের মত পদক্ষেপ নেয়া হবে ঐ অধ্যাদেশ অনুযায়ী। ধর্ষণের মামলা বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে করা হবে, যেখানে চার মাসের মধ্যে রায় দেয়ার চেষ্টা করা হবে। লাহোর শহরের উপকণ্ঠে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হলে জনরোষ তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে এই নতুন আইন প্রণীত হল। একটি মহাসড়কের পাশে দুই সন্তানের সামনে ঐ নারী নির্যাতনের শিকার হন। লাহোরের পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ঐ ঘটনার পরদিন এক বক্তব্যে মন্তব্য করেন যে ঘটনার জন্য ঐ নারীও আংশিকভাবে দায়ী ছিলেন। যৌন নির্যাতনের ঘটনার পাশাপাশ�� পুলিশ কর্মকর্তার ঐ মন্তব্যের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করে মানুষ, যার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সরকার ঐ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভা গতমাসে অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেন এবং মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এটিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে সংসদে উত্থাপনের মাধ্যমে এটিকে চূড়ান্তভাবে আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে পাকিস্তান সরকার। ততদিন পর্যন্ত অধ্যাদেশটি বলবৎ থাকবে। তবে অনেকেই এই অধ্যাদেশের সমালোচনা করেছেন। তাদের বক্তব্য, এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তি অতিরিক্ত কঠোর। যৌন নিপীড়কদের শাস্তি হিসেবে আরো কয়েকটি দেশ রাসায়নিক ভাবে খোজাকরণ বা ওষুধ ব্যবহার করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর মত পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়া ২০১৬ সালে শিশুদের সাথে যৌন নিপীড়নের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক বন্ধ্যাকরণের শাস্তির বিধান চালু করে। পোল্যান্ডে শিশুদের ধর্ষণ করার শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের রাসায়নিক খোজাকরণ করা হয়। আরো পড়তে পারেন: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদিত, মঙ্গলবারই অধ্যাদেশ জারী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড: নতুন অধ্যাদেশে কী বলা হয়েছে? ধর্ষণের শিকার নারীরা বিচার পান না যে সব কারণে", "doc2": "Après des années de lutte, les Marocaines ont eu gain de cause La loi inclut une interdiction des mariages forcés et intervient à une période où les abus contre les femmes font souvent l'objet d'inquiétudes dans le pays. Le texte, initié en 2013 et amendé à plusieurs reprises, avait été définitivement adopté en deuxième lecture le 14 février. La loi marocaine incrimine désormais \"certains actes considérés comme des formes de harcèlement, d'agression, d'exploitation sexuelle ou de mauvais traitement\". Elle prévoit des mesures de lutte contre le harcèlement dans les lieux publics, notamment des peines allant d'un à six mois d'emprisonnement ou une amende de 2 000 à 10 000 dirhams. Lire aussi Un chanteur marocain \"arrêté pour viol\" Le Maroc choqué par le calvaire d'une adolescente L'Unicef dénonce des viols d'adolescentes au Maroc Des mesures qui s'appliquent non seulement au harcèlement de rue, mais aussi aux propos à caractère sexuel tenus ou envoyés par SMS, messages vocaux ou même à travers des photos. Un sondage indique que six marocaines sur dix ont souffert d'une certaine forme de violence. De récents cas sont devenus viraux sur les réseaux sociaux. Mouna Ba de BBC Arabic déclare que cette nouvelle loi a été appréciée par l'opinion mais elle a aussi été critiquée parce qu'elle ne donne pas une définition claire des violences domestiques et n'interdit pas formellement le viol conjugal."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57306465", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57316431", "doc1": "এক দশক পর চালানো আদম শুমারিতে দেখা গেছে চীনের ইতিহাসে জন্মহার সবচেয়ে ধীর গতিতে হয়েছে বহু দশক ধরে কঠোরভাবে 'এক সন্তান নীতি' অনুসরণের পর ২০১৬ সালে চীন তা ব���তিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায় সব দম্পতি দুটি সন্তান নিতে পারবেন। কিন্তু এরপরেও চীনে জন্মহার স্থায়ীভাবে বাড়েনি। শহরগুলোতে সন্তান বড় করার ক্রমবর্ধমান খরচ বহু চীনা দম্পতির জন্য একটা বড় অন্তরায় হিসাবে কাজ করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে পলিট ব্যুরোর বৈঠকে সর্বসাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শিনহুয়া বলেছে নতুন এই পদক্ষেপ কার্যকর করতে দেশটির জনসংখ্যা কাঠামো উন্নয়নে সহায়তামূলক পদক্ষেপও নেয়া হবে। জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া কী? \"জন্মসংখ্যা বাড়ানোর চাবিকাঠি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি শিথিল করার সাথে সম্পর্কিত হতো, তাহলে বর্তমান দুই-সন্তান নীতি চালু করার পর সেটা কাজ করার কথা ছিল,\" রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন হাও ঝৌ, কমার্সব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ। \"তিনটি সন্তান কে চায়? তরুণ দম্পতিরা বেশি হলেও দুটির বেশি সন্তানে আগ্রহী নয়। মূল বিষয়টা হল জীবনযাপনের খরচ খুবই বেশি এবং বেঁচে থাকার জন্য চাপও বিশাল।\" আরও পড়ুন: চীনে গত বছর জন্মেছে এক কোটি ২০ লাখ শিশু। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ৮০ লাখ আরেকজন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং রয়টার্সকে বলেছেন যে শুরুতে \"এর কিছু ইতিবাচক প্রভাব হতে পারে, কিন্তু সেটা বড় কিছু হবে না\"। \"সন্তান মানুষ করার খরচ- বিশেষ করে শিক্ষা এবং আবাসনের খরচ- যদি সরকার সফলভাবে কমাতে পারে, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল পড়তে পারে,\" তিনি বলেন। সামাজিক মাধ্যমে নতুন এই পদক্ষেপ নিয়ে চীনাদের মধ্যে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি। \"তিনটি সন্তান! আমি তো একটা সন্তানও চাই না,\" ব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে লিখেছেন একজন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী। \"আপনি কি জানেন তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগেরই নিজেদের দেখাশোনা করতে নাভিশ্বাস উঠছে?\" বিবিসিকে বলেছেন বেইজিংয়ের বাসিন্দা এক তরুণী। তার কথায় \"আমি নিজের কথা ভাবতে চাই, সন্তান নেয়া ও তাকে বড় করার অনবরত দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে চাই না।\" আদমশুমারি কী বলছে? এ মাসের গোড়ায় আদমশুমারির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে চীনে গত বছর জন্মেছে এক কোটি ২০ লাখ শিশু। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ৮০ লাখ- অর্থাৎ জন্মহার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ১৯৬০এর দশকের পর এটা শিশুজন্মের সর্বনিম্ন হার। এইআদমশুমারির জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ২০���০-র শেষ দিকে। ৭০ লাখ তথ্য সংগ্রহকারী চীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কাজেই যে পরিমাণ মানুষ জরিপের আওতায় এসেছে তা বিশাল এবং চীনের জনসংখ্যার এই হিসাব খুবই ব্যাপক মাত্রায় সংগৃহীত তথ্যের ফসল। ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্যও এই হিসাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল যে শুমারির ফল প্রকাশ হওয়ার পর চীন পরিবার নিয়ন্ত্রণ নীতি শিথিল করবে। চীনে নতুন ঘোষিত তিন সন্তান নীতিতে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে খুবই উদ্দীপনার সাথে তুরে ধরা হচ্ছে, কিন্তু বহু চীনাই বেশি সন্তান নিতে আগ্রহী নন রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় হৈচৈ বনাম জনমত চীনের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াগুলো \"তিন সন্তান নীতি\" নিয়ে তুমুল হৈচৈ ফেলে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চীনা মিডিয়া বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন। সংবাদপত্র পিপলস্ ডেইলি, রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল সিসিটিভি এবং সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আজ বাচ্চাদের হাসিমুখের নানা কার্টুন ছবি পোস্ট করছে এবং খুব সাড়ম্বরে নতুন নীতির \"আগমন\" ঘোষণা করছে। জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক সিনা ওয়েইবোতে শীর্ষ আলোচনার বিষয় এই নতুন নীতি। তারা পোস্টিং দিয়ে বলছে নতুন নীতি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মতামত দিচ্ছে, মন্তব্য করছে লাখ লাখ মানুষ। তবে সব জনমত কিন্তু উদ্দীপনার নয়। শিনহুয়ার ইতিবাচক পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করেছেন ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ এবং যারা এই নীতির সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন তাদের পোস্টেই লাইক পড়েছে বেশি। অনেকেই বেশি সন্তানের চাপ নিতে রাজি নয় বলে মন্তব্য করেছে \"এমনিতেই চাপের ঠেলায় আমরা হিমশিম\" মন্তব্য করেছেন একজন। অনেকেই \"কর্মক্ষেত্রে সঙ্কটের\" কথা তুলে ধরেছেন। মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবার পর কাজে ফিরে যাওয়ার সমস্যা, মাতৃত্বকালীন এমনকি সাধারণ সুযোগসুবিধার অভাবের কথাও উঠে আসছে সামজিক মাধ্যমে। চীনে অনেক নারী এখন সন্তান পালনের চেয়ে কেরিয়ার তৈরির দিকে বেশি করে ঝুঁকছেন চীনের শ্রম বাজারও যেভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে, তাতে তরুণ চীনাদের এখন অনেক বেশি ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। ওভারটাইম এবং বাড়তি সময়ের কাজ এখন তরুণদের জন্য নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর চীনে মেয়েরা এখন উচ্চ শিক্ষা এবং চাকরিবাকরির দিকে ঝুঁকছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। তারা অল্প বয়সে বিয়ে করে সন্তান নিতে আগের মত আগ্রহী নন। চীনের আগের নীতি কী ছিল? এমনকি ২০১৬ সালে যখন চীন বিতর্কিত এক সন্তান নীতির অবসান ঘটিয়ে দম্পতিদের দুটি সন্তান নেবার অনুমতি দেয়, তখন নীতি পরিবর্তনের পর দুবছর জনসংখ্যা বাড়লেও তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ইকনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মিজ ইউয়ে সু বলছেন: \"দুই সন্তান নীতির একটা ইতিবাচক প্রভাব জন্মহারের ওপর পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটা ছিল স্বল্প মেয়াদী।\" চীনে জন্মসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে যে এক সন্তান নীতি চালু করা হয়েছিল, দীঘদিন চালু থাকা সেই নীতির প্রভাব দেখা গেছে চীনের জনসংখ্যা কাঠামোয়। কঠোর সেই নীতি না মানলে জরিমানার বিধান ছিল, আইন অমান্যকারীদের শাস্তি হিসাবে চাকরিচ্যুত করা হতো এবং কখনও কখনও বাধ্যতামূলক গর্ভপাতও কের দেয়া হতো। ওই আইনের ফলে চীনে নারী পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্যের বিশাল অভাব তৈরি হয়েছে। দেশটিতে এমনতেই ঐতিহাসিকভাবে পুরুষদের প্রাধান্য নারীদের চেয়ে বেশি। \"বিয়ের বাজারে এটা বড়ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে, বিশেষ করে যেসব পুরুষ আর্থসামাজিক ভাবে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে তাদের জন্য,\" বলছেন সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু ঝেং। চীনে নারী পুরুষ সংখ্যায় ভারসাম্যের বিশাল অভাব তৈরি হয়েছে। পুরুষের সংখ্যা নারীর তুলনায় কয়েক লাখ বেশি হয়ে গেছে, ফলে পুরুষদের বিয়ের জন্য নারী পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন কি তার জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেবে? চীনে সর্বসাম্প্রতিক এই আদমশুমারির আগে বিশেষজ্ঞরা আঁচ অনুমান করছিলেন যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে। তবে দেখে মনে হচ্ছে চীন এ ব্যাপারে সতর্কতার সাথে এগোতে চাইছে। কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলছেন সে ধরনের পদক্ষেপ \"অন্য ধরনের সমস্যার\" জন্ম দিতে পারে। তারা ইঙ্গিত করছেন এ ধরনের পদক্ষেপ শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বিশাল ফারাক তৈরি করবে। বেইজিং এবং শাংহাইয়ের মত বড় এবং ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার শহরে নারীরা সন্তান নেবার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবে না বা তেমন উৎসাহ দেখাবে না। কিন্তু জনসংখ্যার লাগাম না টানলে গ্রাম এলাকায় প্রথাগতভাবে নারীদের অনেক সন্তান হবার প্রবণতা বাড়বে। কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথাগত ভাবে চীনারা বড় পরিবার চায়। সরকারের নীতি নির্ধারণের সাথ��� যোগাযোগ আছে এমন একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন এর ফলে গ্রামীণ পরিবারগুলোর মধ্যে দারিদ্র ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা আগে এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন যে চীনের জনসংখ্যা কমে গেলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে তার বিশাল প্রভাব পড়তে পারে। উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানী ড. ই ফুক্সিয়ান বলছেন: \"চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে খুব দ্রুত এবং বিশ্বের বহু শিল্প চীনের ওপর নির্ভরশীল। ফলে চীনের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব হবে চীনের জন্য খুবই নেতিবাচক।\"", "doc2": "Cette décision intervient après qu'un recensement effectué une fois par décennie a montré que la population chinoise a augmenté à son rythme le plus lent depuis des décennies La Chine a supprimé en 2016 sa politique de l'enfant unique, vieille de plusieurs décennies, pour la remplacer par une limite de deux enfants, qui n'a pas réussi à entraîner une hausse durable des naissances. Le coût de l'éducation des enfants dans les villes dissuade de nombreux couples chinois. La dernière mesure est approuvée par le président Xi Jinping lors d'une réunion des hauts responsables du Parti communiste. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Selon l'agence de presse Xinhua, elle s'accompagnera de \"mesures de soutien, qui permettront d'améliorer la structure démographique de notre pays, de mettre en œuvre la stratégie nationale visant à faire face au vieillissement de la population et à préserver l'avantage que représente la dotation en ressources humaines\". Toutefois, l'organisation de défense des droits de l'homme Amnesty International indique que cette politique, comme les précédentes, constitue toujours une violation des droits sexuels et reproductifs. \"Les gouvernements n'ont pas à réglementer le nombre d'enfants que les gens ont. Au lieu d'\"optimiser\" sa politique de natalité, la Chine devrait plutôt respecter les choix de vie des gens et mettre fin à tout contrôle invasif et punitif des décisions de planification familiale\", affirme Joshua Rosenzweig, responsable de l'équipe Chine de l'organisation. Par ailleurs, certains experts se sont montrés sceptiques quant à l'impact. \"Si l'assouplissement de la politique de natalité a été efficace, la politique actuelle des deux enfants aurait dû s'avérer efficace aussi\", explique Hao Zhou, économiste principal à la Commerzbank, à l'agence de presse Reuters. \"Mais qui veut avoir trois enfants ? Les jeunes pourraient avoir deux enfants tout au plus. Le problème fondamental est que le coût de la vie est trop élevé et que les pressions de la vie sont trop énormes\", dit-il. Analyse Par Stephen McDonell Correspondant en Chine Par une journée pluvieuse et morne à Pékin, je suis en train d'acheter un café lorsque la nouvelle tombe. Les gens commencent à regarder leurs téléphones qui émettent des bips et des ronflements, tandis que les gros titres défilent sur leurs écrans : la Chine va autoriser les couples à avoir trois enfants. C'est une grande nouvelle dans un pays qui n'a pas commencé à produire soudainement plus de bébés lorsque la politique de l'enfant unique est passée à deux. En fait, beaucoup se demandent comment une politique de trois enfants peut signifier plus d'enfants alors que la version à deux enfants ne l'a pas fait, et pourquoi les restrictions sur les naissances sont restées en vigueur compte tenu de la tendance démographique. De très bonnes questions. On peut penser que, parmi ceux qui sont prêts à avoir deux enfants, au moins certains parents en auront trois. Cependant, j'ai interrogé de nombreux jeunes couples chinois à ce sujet et il est difficile de trouver ceux qui veulent des familles plus nombreuses de nos jours. Des générations de Chinois ont vécu sans frères et sœurs et sont habitués aux petites familles - la richesse fait qu'il est moins nécessaire d'avoir plusieurs enfants pour devenir des travailleurs à l'appui de la famille, et les jeunes professionnels disent qu'ils préfèrent donner plus d'avantages à un seul enfant plutôt que de répartir leurs revenus entre plusieurs enfants. Que dit le recensement ? Le recensement, publié ce mois-ci, montre qu'environ 12 millions de bébés sont nés l'année dernière - une baisse significative par rapport aux 18 millions de 2016, et le plus faible nombre de naissances enregistré depuis les années 1960. Le recensement a été réalisé fin 2020 - quelque sept millions d'agents recenseurs avaient fait du porte-à-porte pour recueillir des informations auprès des ménages. Compte tenu du nombre de personnes interrogées, il est considéré comme la ressource la plus complète sur la population de la Chine, ce qui est important pour la planification future. On s'attendait généralement, après la publication des résultats du recensement, à ce que la Chine assouplisse les règles de sa politique familiale. \"Trop de pressions importantes\" Par Kerry Allen, analyste des médias en Chine Les principaux médias chinois font grand cas de la \"politique des trois enfants\". Le quotidien People's Daily, la chaîne de télévision CCTV et l'agence de presse Xinhua affichent tous aujourd'hui sur leurs pages de médias sociaux de joyeuses images de dessins animés d'enfants et annoncent que la nouvelle politique est \"arrivée\". C'est déjà le principal sujet de discussion sur le réseau social populaire Sina Weibo - les messages mentionnant la nouvelle politique ont déjà enregistré des dizaines de milliers de vues et des centaines de milliers de commentaires. Plus de 180 000 utilisateurs ont commenté l'article optimiste de Xinhua, et ceux qui ont le plus de \"likes\" ne voient pas la politique d'un bon œil. \"Il y a trop de grosses pressions dans la vie en ce moment\", dit un utilisateur, \"les jeunes ne veulent pas avoir d'enfants\". Beaucoup parlent des \"dilemmes du lieu de travail\" des temps modernes pour les personnes qui partent en congé de maternité/paternité et du fait qu'il n'y a même pas \"les avantages les plus basiques en matière de reproduction\". Et avec un marché du travail qui se rétrécit, les jeunes Chinois acceptent aujourd'hui de travailler plus longtemps. Les heures supplémentaires et le surmenage sont endémiques. Entre-temps, de plus en plus de femmes choisissent de poursuivre des études et de travailler, plutôt que de s'installer tôt pour fonder une famille. Quelles étaient les politiques précédentes de la Chine ? La décision du gouvernement en 2016 d'autoriser les couples à avoir deux enfants n'a pas réussi à inverser la chute du taux de natalité du pays, malgré une augmentation de deux ans immédiatement après. Yue Su, économiste principal de The Economist Intelligence Unit, explique : \"si la politique du deuxième enfant a eu un impact positif sur le taux de natalité, elle s'est avérée être de courte durée.\" Au fil des ans, les tendances démographiques de la Chine sont largement façonnées par la politique de l'enfant unique, introduite en 1979 pour ralentir la croissance démographique. Les familles qui enfreignaient les règles s'exposaient à des amendes, à la perte de leur emploi et parfois à des avortements forcés. La politique de l'enfant unique a également entraîné un grave déséquilibre entre les sexes dans le pays. La préférence traditionnelle pour les enfants de sexe masculin a conduit à l'abandon d'un grand nombre de filles ou à leur placement dans des orphelinats, ou à des cas d'avortements sélectifs en fonction du sexe, voire d'infanticide féminin. \"Cela pose des problèmes sur le marché du mariage, en particulier pour les hommes ayant moins de ressources socio-économiques\", souligne le Dr Mu Zheng, du département de sociologie de l'université nationale de Singapour. La Chine peut-elle lever complètement les restrictions sur les naissances ? La \"génération de l'enfant unique\" en Chine veut-elle plus d'enfants ? Avant le dernier recensement chinois, les experts avaient émis l'hypothèse d'une levée totale des restrictions sur les naissances, mais il semble que la Chine fasse preuve de prudence. Mais d'autres ont affirmé qu'une telle mesure pourrait potentiellement entraîner \"d'autres problèmes\", soulignant l'énorme disparité entre les citadins et les ruraux. Si les femmes vivant dans des villes coûteuses telles que Pékin et Shanghai peuvent souhaiter retarder ou éviter les naissances, celles des campagnes sont susceptibles de suivre la tradition et de vouloir des familles nombreuses, disent-ils. \"Si nous libérons la politique, les gens dans les campagnes pourraient être plus disposés à donner naissance que ceux dans les villes, et il pourrait y avoir d'autres problèmes\", avait auparavant signalé à Reuters un initié de la politique, notant que cela pourrait conduire à la pauvreté et à des pressions sur l'emploi parmi les familles rurales. Les experts avaient prévenu que tout impact sur la population chinoise, tel qu'un déclin, pourrait avoir un vaste effet sur d'autres parties du monde. Le Dr Yi Fuxian, scientifique à l'Université du Wisconsin-Madison, indique : \"l'économie chinoise a connu une croissance très rapide et de nombreuses industries dans le monde dépendent de la Chine. La portée de l'impact d'un déclin démographique serait très large.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53771841", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53773787", "doc1": "মি. ট্রাম্প বলেছেন তার চুলের স্টাইল ''নিখুঁত'' হতে হবে আমেরিকায় ১৯৯২ সালের আইন অনুযায়ী শাওয়ারের মুখ দিয়ে প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্যালনের বেশি পানি ছাড়ার নিয়ম নেই। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে এই সীমা নির্ধারণ শাওয়ারের পূর্ণাঙ্গ মুখের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেন না থাকে। তারা চাইছে প্রতি মিনিটে শাওয়ারের ঝাঁঝরির প্রতিটি গর্ত দিয়ে যেন সর্বোচ্চ ২.৫ গ্যালন পানি ছাড়া হয়। ভোক্তা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠনগুলো বলেছে এটা অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয়। গত মাসে মি. ট্রাম্প এই হোয়াইট হাউসে এই অভিযোগ আনার পর গতকাল সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে। \"আপনি শাওয়ার করতে ঢুকেছেন- কিন্তু যথেষ্ট পানি আসছে না। আপনি হাত ধোবেন, কিন্তু পানি আসছে না। আপনি কী করবেন? আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকবেন শাওয়ারের নিচে আর দীর্ঘক্ষণ ধরে শাওয়ার করবেন? দেখুন আমার চুলের ব্যাপারে- আমি আপনাদের কথা জানি না, কিন্তু আমার চুলের স্টাইল নিখুঁত হতে হবে,\" মি. ট্রাম্প বলেন। সংরক্ষণ গোষ্ঠী অ্যাপ্লায়েন্স স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাওয়ারনেস প্রজেক্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু ডিলাস্কি বলেছেন এই প্রস্তাব ''উদ্ভট''। আপনার শাওয়ারের মুখের ঝাঁঝরিতে আরও চারটা বা পাঁচটা গর্ত দিয়ে \"আপনি প্রতি মিনিটে যে আরও ১০ থেকে ১৫ গ্যালন পানি ছাড়বেন, তা আপনার বাথরুম থেকে আপনাকেও ধুয়ে বের করে ফেলতে সক্ষম,\" তিনি এপি বার্তা সংস্থাকে বলেন। \"প্রেসিডেন্টের যদি আরও ভাল ও উন্নত শাওয়ারের সরঞ্জাম দরকার হয়, আমরা তাকে কিছু অনলাইন শাওয়ার দোকানের সন্ধান দিতে পারি। তারা তাকে ভাল শাওয়ারের ঝাঁঝরি মুখ দেবে যা দিয়ে তিনি গা মাথা ভাল করে ধুতে পারবেন, তিনি আরও বলেন। কনজিউমার রিপোর্টস নামে আরেকটি ভোক্তা সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ফ্রিডম্যান বলছেন, তাদের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকায় শাওয়ারের সরঞ্জাম, শাওয়ারের ঝাঁঝরি মুখ নিয়ে মানুষ খুবই সন্তুষ্ট। তারা যে পরিমাণ পানি পান তাতেও তারা খুশি এবং পানির এই সীমা বেঁধে দেয়ার কারণে পানির বিলে তাদের যে সাশ্রয় হয় তাতেও তারা সন্তুষ্ট। রয়টার্স বার্তা সংস্থার খবরে বলা হচ্ছে এই প্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এগুলে তা শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াতে পারে।", "doc2": "M. Trump a déclaré que ses cheveux doivent être \"parfaits\" En vertu d'une loi de 1992, les pommes de douche aux États-Unis ne sont pas autorisées à produire plus de 2,5 gallons (9,5 l) d'eau par minute. L'administration Trump souhaite que cette limite s'applique à chaque buse, plutôt qu'à l'ensemble du dispositif. Les associations de consommateurs répondent que cela est inutile et pas nécessaire. Les changements ont été proposés par le ministère de l'Énergie, mercredi, à la suite des plaintes de M. Trump à la Maison Blanche le mois dernier. \"Alors les pommes de douche - vous prenez une douche, l'eau ne sort pas. Vous voulez vous laver les mains, l'eau ne sort pas. Alors que faites-vous? Vous restez là plus longtemps ou vous prenez une douche plus longtemps? Parce que mes cheveux - je ne sais pas pour vous- doivent être parfaits, parfaits'', explique Donald Trump. Lire aussi : Andrew deLaski, directeur exécutif du groupe de conservation de l'énergie Appliance Standards Awareness Project, a déclaré que la proposition était \"insensée''. Avec quatre ou cinq buses ou plus, ''vous pourriez avoir 10, 15 gallons par minute hors de la pomme de douche, vous vous lavez hors de la salle de bain'', a-t-il déclaré à l'agence de presse Associated Press. \"Si le président a besoin d'aide pour trouver une bonne douche, nous pouvons le diriger vers quelques sites Web grand public qui aident à identifier une bonne pomme de douche qui offre un bain dense et une bonne douche\", a-t-il ajouté. David Friedman, vice-président du plaidoyer de l'organisation Consumer Reports, a déclaré que les pommes de douche aux États-Unis \"atteignent déjà des niveaux élevés de satisfaction de la clientèle\", tout en économisant de l'argent aux gens. La proposition pourrait faire l'objet de batailles judiciaires si elle va plus loin, rapporte l'agence de presse Reuters."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47760846", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47607398", "doc1": "ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান। ওই দুর্ঘটনার জন্য বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের এন্টি-স্টলিং সিস্টেমকে দায়ী করা হচ্ছে। উড়ান শুরু করার মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহীদের সবাই, অর্থাৎ মোট ১৫৭ জন নিহত হয়। বলা হচ্ছে, বিমানটি মাটি থেকে মাত্র সাড়ে চারশো ফুট উপরে উঠার পরেই বিমানের নাকটি সামনের দিকে নেমে যেতে শুরু করে। তখন একজন পাইলট আরেকজন পাইলটকে উদ্দেশ্য করে 'উপরে তোল, উপরে তোল' বলে চিৎকার করতে থাকেন বলে খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পত্রিকাটি বলছে, এই দুর্ঘটনার তদন্তের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে তারা কথা বলে এসব জানতে পেরেছে। তারা বলছে, এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য তারা পেয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, বিপর্যয়কর এক ব্যর্থতার ঘটনা ঘটেছিল যা খুব দ্রুত বিমানের ক্রু সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইথিওপিয়াতে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে পাওয়া যেসব তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথেই বিমানের এন্টি-স্টল সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে গিয়েছিল। নিহতদের স্বজনের আহাজারি। আরো পড়তে পারেন: বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স: নতুন প্রযুক্তিই কি দুর্ঘটনার কারণ? একের পর এক দেশ নিষিদ্ধ করছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইট ওড়া বন্ধ করেছে ভারতও এর আগে গত অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়াতে লায়ন এয়ারের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তাতেও একইভাবে এই ম্যানুভ���রিং ক্যারেক্টারিস্টিকস অগমেন্টেশন সিস্টেম আপনা আপনি চালু হয়ে গিয়েছিল। সেটাও ছিল বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের। জাকার্তা থেকে উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিধ্বস্ত হয় এবং তাতে নিহত হয় বিমানে থাকা ১৮৯ জনের সবাই। লায়ন এয়ারের ওই দুর্ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে, এন্টি-স্টল সিস্টেমটি ঠিক মতো কাজ করেনি। ফলে বিমানের সামনের দিকে নাকটি হঠাৎ করেই নিচের দিকে নেমে যেতে শুরু করে। বলা হচ্ছে, সাগরে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটির সামনের অংশ কুড়িবারেরও বেশি নিচের দিকে নেমে গিয়েছিল। ইথিওপিয়ায় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে এই দুটো বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে 'পরিষ্কার কিছু মিল' রয়েছে। তদন্তের যেসব খবরাখবর আগেই ফাঁস হয়ে গেছে সেসব বিষয়ে এয়ারলাইন এবং কর্তৃপক্ষের তরফে মন্তব্য করার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের সব বিমানের উড়ান বন্ধ করে সেগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার অবৈধ ভবনগুলো টিকে আছে কীভাবে এক নারীর দুই জরায়ু থেকে জন্মালো তিন সন্তান ভারতীয় নির্বাচন: চায়ের গ্লাসেও 'চৌকিদার' স্লোগান কেন? মৃত মস্তিষ্ক নিয়েও সন্তান জন্ম দিলেন এক নারী", "doc2": "Les débris du crash du vol 302 d'Ethiopian Airlines En octobre un appareil du même type appartenant à la compagnie indonésienne Lion Air s'était écrasé juste après le décollage. Les autorités éthiopiennes n'ont pas précisé la nature des similarités. Toutefois, elle annonce que le rapport préliminaire de cette enquête sur les causes du crash sera publié dans 30 jours. Pour l'instant, l'enquête sur le crash du Boeing de la compagnie indonésienne Lion Air a mis en cause un dysfonctionnement sur le système de stabilisation en vol destiné à éviter un décrochage de l'avion."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-37488926", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-37494894", "doc1": "চিকিৎসকের কোলে ওই নবজাতক শিশু তিন ব্যক্তির 'ফার্টিলিটি কৌশল' এরকম অভিনব এক কৌশলে বিজ্ঞানীরা এই শিশুটির জন্ম দিয়েছেন। এই শিশুটির জন্মের পেছনে তাদের পিতা মাতা ছাড়াও আরও একজনের অবদান ছিলো। নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকীতে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, নবজাতক শিশুটি একটি ছেলে। তার বয়স এখন পাঁচ মাস। এই শিশুটির শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ছিলো তার মা ও বাবার ডিএনএ। কিন্তু তারপরেও তৃতীয় আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ছোট্ট একটি জেনেটিক কোড নিয়ে সেটি তার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ওই ব্যক্তিটি একজন দাতা। শিশুটির মা জর্ডানের নাগরিক। তার জিনে কিছু ত্রুটি ছিলো। শিশুটি যাতে ত্রুটিমুক্ত হয়ে জন্মাতে পারে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা সেটা নিশ্চিত করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তারা বলছেন, যেসব পরিবারে জেনেটিক ত্রুটি বা সমস্যা আছে বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। তবে তারা বলছেন, এই কাজটি করার আগে বহু জিনিস পরীক্ষা করে নেওয়া খুব জরুরী। ডিম্বাণুতে সূচ দিয়ে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হচ্ছে মাইট্রোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন নামের এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে এখনও প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। তিন জন মানুষের শরীর থেকে ডিএনএ নিয়ে এই প্রথম যে কোন শিশুর জন্ম হলো তা কিন্তু নয়। নব্বইয়ে দশকে এই কাজটি প্রথম হয়েছে। তবে এবার যেভাবে করা হলো সেটি একেবারে নতুন এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রক্রিয়া। প্রত্যেক কোষের ভেতরে থাকে ছোট্ট একটি কম্পার্টমেন্ট যাকে বলা হয় মাইটোকন্ড্রিয়া। এই মাইটোকন্ড্রিয়া খাদ্য থেকে জ্বালানী তৈরি করে। কোন কোন নারীর মাইটোকন্ড্রিয়াতে জেনেটিক ত্রুটি থাকে এবং সেটা তাদের সন্তানদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারে। জর্ডানের এই পরিবারটির যে ত্রুটি ছিলো তার নাম 'লেই সিন্ড্রোম।' এবং এই ত্রুটির ফলে শিশুটির মৃত্যুও হতে পারতো। এই ত্রুটি সংশোধন করতে বিজ্ঞানীদেরকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের এই দলটিকে এসব করতে যেতে হয়েছে মেক্সিকোতে যেখানে এসব নিষিদ্ধ করে কোন আইন কার্যকর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে এধরনের গবেষণা আইন করে নিষিদ্ধ। এই প্রক্রিয়ায় ডাক্তাররা মায়ের ডিম্বাণু থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। একই সাথে দাতার ডিম্বাণু থেকেও স্বাস্থ্যকর মাইটোকন্ড্রিয়া সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই দুটোকে নিষিক্ত করা হয় পিতার শুক্রাণুতে। তারপর শিশুটির জন্ম হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, শিশুটি সুস্থ আছে। এবং এখনও পর্যন্ত তার শরীরে কোন ত্রুটি ধরা পড়েনি।", "doc2": "La nouvelle technique de conception assistée comporte des risques, selon de nombreux scientifiques. Une partie de l'ADN de l'enfant ne vient pas de sa mère, mais d'une deuxième femme. Cette technique de conception assistée n'étant pas autorisée aux Etats-Unis, l'équipe médicale de l'American Society for Reproductive Medicine (ASRM) est allée la réaliser au Mexique. Elle a été réalisée par l'équipe du docteur John Zhang et ses collègues du Centre New Hope Fertility, à New York. \"Une avancée importante de la médecine...\" Les médecins ont transféré les matériaux génétiques contenant les chromosomes de la mère dans un ovule d'une donneuse, dont les matériaux génétiques avaient été enlevés. Le docteur Owen Davis, président de l'ASRM, a salué \"une avancée importante en médecine de la reproduction\". Il espère que cette technique devienne à terme une véritable \"option pour les femmes risquant de transmettre des maladies mitochondriales à leurs enfants\". La nouvelle technique de conception assistée comporte des risques, selon de nombreux scientifiques. Ils affirment qu'elle peut entraîner des conséquences imprévisibles sur la santé de l'enfant. En février 2015, les députés britanniques ont adopté une loi autorisant le recours à cette technique considérée comme un rempart contre les maladies génétiques pouvant être transmises par la mère à l'enfant."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55732606", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55735677", "doc1": "নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম দশ দিনেই তিনি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারির কাজ শুরু করছেন। এগুলো হল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে জারি করা নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এই তালিকায় সবার উপরে আছে দুটি বিষয়। এক- বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিলের বিষয়। তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরাপত্তা হুমকির কারণ দেখিয়ে প্রধানত যেসব মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, সেগুলো প্রত্যাহার। আর দ্বিতীয়টি হল প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবার যোগদান। এছাড়াও নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে যে বিষয়গুলোর দিকে তিনি অবিলম্বে নজর দিতে চান বলে জানা যাচ্ছে সেগুলো হল: করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবেলা আমেরিকানদের মাস্ক পরানো আমেরিকায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ লাখের বেশি মানুষ। এই মহামারি এবং দেশটিতে এর সূদুরপ্রসারী প্রভাব মোকাবেলা নতুন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় সবার উপরে থাকবে। মি. বাইডেন বলেছেন \"আমাদের প্রশাসনের জন্য এটা অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই\" এবং তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর সাথে সাথেই কোভিড মোকাবেলায় তার কৌশল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রথম একটি পদক্ষেপ হবে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত ভবনে এবং আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্বাহী আদেশ জারি করা। তবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর যারা এতদিন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিরোধিতা করে এসেছেন, তারা যে হঠাৎ করে তাদের মনোভাব বদলাবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। আর সারা দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য আদেশ জারি করার কোন আইনগত পথ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় কার্যত দেয়া নেই। তবে প্রথম দিনে জারি করা নির্বাহী আদেশে তিনি ফেডারেল অফিসগুলোতে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন। মি. বাইডেন এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে এবং তিনি বলেছেন তিনি গর্ভনরদের মত বদলাতে রাজি করনোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবেন। কোভিড ১৯এর বিস্তার ঠেকাতে অনেক দোকানেই খদ্দেরদের মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে গভর্নররা যদি তার কথা না মানেন, তাহলে মেয়র এবং পৌর এলাকার কর্মকর্তাদের প্রতি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবার আহ্বান তিনি জানাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। তবে সেটা কীভাবে কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে কিছু এখনও বলা হয়নি। ১০০ দিনে ১০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা মি. বাইডেন টিকাদান প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চার করতে চান। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল তার ক্ষমতায় প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে দশ কোটি মানুষকে করোনার টিকার অন্তত প্রথম ডোজ দিয়ে দেয়া। টিকা কর্মসূচি দ্রুততার সাথে করার একটা পরিকল্পনা হল যত ভ্যাক্সিন তৈরি আছে তার একটা অংশ দ্বিতীয় ডোজের জন্য মজুত রাখার বদলে, পুরোটাই একসাথে ছেড়ে দেয়া। যাদের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে তাদের জন্য ব্যাজ দেয়ার প্রক্রিয়ায় চালু করা হয়েছে এছাড়াও দ্রুত কোভিড পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু ও তা উন্নত করতে, এবং জাতীয় স্তরে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, এবং পিপিই-র সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকর রাখার জন্যও তিনি নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু) আবার যোগদান আমেরিকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেবার প্রতিশ্রুতিও তার কার্যতালিকায় রয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাহী আদেশ এরই মধ্যে জারি করেছেন তিনি গ্রীষ্মে মি. ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার অভিযোগ ছিল চীনে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ার পর সংস্থাটি কোভিডের বিস্তার ঠেকাতে এবং সংস্থায় \"জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সংস্কার\" আনতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ভাড়াটে ও বাড়ির মালিকদের জন্য ছাড় মি. বাইডেনের প্রশাসনিক টিমের সদস্যরা বলেছেন বাসা ভাড়া না দিতে পারার জন্য ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ বা বাড়ি কেনার বন্ধকের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা মি. বাইডেনের রয়েছে। মহামারি শুরু হবার পর এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এছাড়াও সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের দেয়া ঋণের কিস্তি সুদসহ পরিশোধের প্রক্রিয়াও এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। সেটিও চালু রাখতে চান মি. বাইডেন। মি. বাইডেনের টিম আরও জানাচ্ছে \"শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক সুবিধা ��েবার ব্যাপারেও অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের\" জন্য ক্যাবিনেট সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তিনি নির্দেশ দেবেন এমন পরিকল্পনা রয়েছে। ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার করোনাভাইরাস অর্থনীতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিপর্যস্ত আমেরিকান অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনের জন্য গত সপ্তাহে মি. বাইডেন ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন যে \"মানুষের দুঃসহ মাত্রার দুঃখকষ্ট যে একটা সংকটময় পরিস্থিতে পৌঁছেছে,তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে এবং এখন নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই\"। বাসা থেকে উচ্ছেদ বন্ধের পদক্ষেপ আরও দীর্ঘ সময় চালু রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ধর্মীয় নেতারা, ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিকরাও এই প্যাকেজ কংগ্রেস অনুমোদন করলে তা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে বলে মি. বাইডেন মনে করছেন। স্কুল নিরাপদে খোলার জন্যও এই প্যাকেজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। মি. বাইডেন তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে স্কুল আবার চালু করতে আগ্রহী। গত ডিসেম্বরে কংগ্রেস ৯০০বিলিয়ন ডলারের যে আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছিল এটা তার ওপর বাড়তি প্রণোদনা প্যাকেজ। রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা এই বিলের কিছু অংশের বিরোধিতা করতে পারেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ মহামারির প্রভাব সামাল দিতে আমেরিকা যে ঋণ নিয়েছে তার বোঝা এর ফলে আরও বাড়বে। পরিকল্পিত এই বিল পাশ হতে হলে মি. বাইডেনের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ এখন ডেমোক্র্যাটদের হাতে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ব্যবধানের। ট্রাম্পের কর সুবিধা বাতিল মি. বাইডেন তার অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় শুধু কোভিড মোকাবেলার জন্য অর্থ সহায়তার প্রস্তাবই রাখেননি। মি. ট্রাম্প যে কর ছাড় দিয়েছেন তা বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন। মি. ট্রাম্প তার ক্ষমতার প্রথম দিকে ২০১৭ সালে যে কর ছাড় অনুমোদন করেন, মি. বাইডেনের টিম বলছে সেটা শুধু ধনী আমেরিকানদের পকেট ভারী করেছে। ছোটখাট ব্যবসায়ীরা এই ছাড়ের সুবিধা মোটেও পাননি, এই সুবিধা ভোগ করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। মি. বাইডেন ব্যবসায়ে বিদেশ থেকে অর্জিত ওপরও কর বসানোর পরিকল্পনা দিয়েছেন। তার নতুন কর নীতিকেও কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে হবে। প্যারিস চুক্তিতে ফিরে যাওয়া মি. বাইডেন বলেছেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পর প্রথম দিনই তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকাকে আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই চুক্তিতে বিশ্ব নেতারা পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন, যেটা ছিল শিল্পায়নের আগের বিশ্বের তাপমাত্রা। তারা অঙ্গীকার করেছিলেন সম্ভব হলে তাপমাত্রা তারা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। মি. ট্রাম্প ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। আমেরিকা ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা বিশ্বের প্রথম দেশ। মি. বাইডেন বলেছেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য আমেরিকা তার উদ্যোগ আরও বাড়াবে এবং প্রেসিডেন্ট পদে তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে তিনি বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। তিনি বলেছেন ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার কার্বন নিঃসরণের মাত্রা যাতে শূণ্যে নামিয়ে আনা যায় তার জন্য এবছরই তিনি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবেন। কিস্টোন এক্সএল নামে তেল ও গ্যাস পাইপলাইন বসানোর এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবার জন্য ২০১৭ সালে একটি নির্বাহী আদেশে মি. ট্রাম্প সই করার পর বিরোধীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন গত কয়েক বছর ধরে অন্য পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা কানাডার আলবার্টা প্রদেশ থেকে মনটানা আর সাউথ ডাকোটার মধ্যে দিয়ে টেক্সাস পর্যন্ত তেলের পাইপলাইন বসানোর এক বিতর্কিত প্রকল্পও তিনি ক্ষমতা হাতে নেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বাতিল করে দেবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিস্টোন এক্সএল নামে তেল ও গ্যাস পাইপলাইন বসানোর এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবার জন্য ২০১৭ সালে একটি নির্বাহী আদেশে মি. ট্রাম্প সই করার পর থেকে বিরোধীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন গত কয়েক বছর ধরে। যানবাহনের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শিথিল করে ট্রাম্প প্রশাসন যে আইন পাশ করেছিল সেটি নিয়েও নতুন করে চিন্তাভাবনার কথা বলেছেন মি. বাইডেন। তিনি বলেছেন গাড়ি ও ভারী যানবাহনের কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে শিগগিরি কঠোর বিধিনিষেধ আনা হবে। তেল ও গ্যাস থেকে মিথেন দূষণের মাত্রা নিয়ে মি. বাইডেন প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা করছে এবং তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র ইজারা দেবার ব্যাপারেও নীতির পরিবর্তন তার প্রশাসন আনতে যাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য খনন বন্ধের দাবিও রয়েছে বহুদিন ধরে অভিবাসন নীতি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল জানুয়ারি ২০১৭য় ক্ষমতা গ্রহণ করার মাত্র সাতদিনের মাথায় মি. ট্রাম্প কিছু দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মি. ট্রাম্পের যেসব নীতি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমেই বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। সাতটি মূলত মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, পরে আদালতে এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলার পর তালিকায় কিছু রদবদল করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা এবং উত্তর কোরিয়া। নাগরিকত্ব প্রদান অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে মি. বাইডেনের আরেকটি বড় প্রতিশ্রুতি হল তিনি দায়িত্ব নেবার পর প্রথম দিকেই কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করবেন, যার মাধ্যমে নথিবিহীন এক কোটি দশ লাখের ওপর অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেবার পথ প্রশস্ত হবে। বহু শিশু অভিবাসী তাদের বাবা মায়েদের থেকে আলাদা হয়ে শিবিরে কঠিন জীবন যাপন করছে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে মি. বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে যে ৫৪৫ জন অভিবাসী শিশু তাদের বাবা-মায়েদের থেকে আলাদা হয়ে গেছে তাদের একত্র করার জন্য তিনি একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করবেন। সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ রদ মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের আরেকটি বহুল আলোচিত প্রকল্প - আমেরিকা আর মেক্সিকোর মাঝখানে দেয়াল তোলা- সেই নির্মাণ কাজও বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মি. বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বলেছেন এই প্রকল্প \"অর্থের অপচয়\" এবং \"যেখানে প্রকৃত হুমকি মোকাবেলায় অর্থের প্রয়োজন এই প্রকল্পের কারণে সেসব ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না\"। শপথ নেয়ার পরপরই জারি করা নির্বাহী আদেশে তিনি এই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসন বলেছে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের বদলে অভিবাসনের বৈধতা যাচাইয়ের কর্মসূচি গড়ে তোলার জন্য তারা কেন্দ্রীয় তহবিল বরাদ্দ করতে আগ্রহী। আমেরিকা ও মেক্সিকোর মধ্যে সীমান্ত দেয়ালের একটি অংশে স্বাক্ষর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদ ও ফৌজদারি বিচারে সংস্কার কোভিড, অর্থনীতি এবং জলবায়ুর পর চতুর্থ স্থানে রয়েছে বর্ণবাদের সমস্যা। মি. বাইডেন বলেছেন তিনি দ্রুত এই সমস্যা মোকাবেলার কাজ শুরু করবেন। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবাসহ যেসব ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্য প্রকট সেসব ক্ষেত্রকে তিনি অগ্রাধিকার দেবার প্রতিশ��রুতি দিয়েছেন। প্রথম ১০০ কার্যদিবসের মধ্যে মি. বাইডেন পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি পুলিশের কার্যকলাপের ওপর নজরদারির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি সংস্থা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এলজিবিটি সুরক্ষা এলজিবিটি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন মি. বাইডেন। তিনি বলেছেন হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে তিনি তহবিল বরাদ্দ করবেন। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তিনি প্রত্যাহার করবেন এবং স্কুলে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধে নির্দেশাবলী জারি করবেন। এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশও তিনি এই মধ্যে জারি করেছেন। আমেরিকান মিত্রদের প্রতি আশ্বাস নতুন প্রেসিডেন্ট বলেছেন আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর সাথে তিনি দ্রুত যোগাযোগ করবেন, বিশেষ করে যাদের সাথে গতকয়েক বছরে আমেরিকার সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এবং \"আমেরিকা তাদের পেছনে রয়েছে\" এই প্রতিশ্রুতি তাদের দেবেন। মি. বাইডেন বলেছেন আমেরিকা \" আবার বিশ্বে নেতৃত্ব দেবার জন্য যে তৈরি সেটা তাকে প্রমাণ করতে হবে, শুধু ক্ষমতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নয়, বরং দৃষ্টান্ত দিয়ে ক্ষমতাকে প্রমাণ করতে হবে।\" তিনি বলেছেন ওভাল অফিসে তার প্রথম কার্যদিবসে তিনি নেটো জোটের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং এই বার্তা দেবেন যে \"আমরা আবার ফিরে এসেছি এবং আমাদের ওপর আবার আপনারা ভরসা রাখতে পারেন।\" মি. ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট নন, যিনি নেটোর অন্যান্য সদস্য দেশকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ ব্যয়ের জন্য চাপ দিয়েছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে বারবার নেটোকে হুমকি দিয়েছেন অন্য সদস্যরা যথেষ্ট অর্থ না দিলে আমেরিকা এই জোট থেকে বেরিয়ে যাবে। মি. বাইডেন এখন সেই ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ", "doc2": "Il va commencer par une série de décrets pendant dix jours. Il s'agit de directives présidentielles qui ne nécessitent pas l'approbation du Congrès. En haut de la liste figurent l'annulation d'une interdiction de voyager controversée, imposée par son prédécesseur Donald Trump contre des pays qu'il considérait comme une menace pour la sécurité, et la réintégration de l'accord de Paris sur le climat. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Voici ce que nous savons d'autre sur les dossiers qui exigent l'attention immédiate du nouveau président. Lutte contre la pandémie de coronavirus Masquer l'Amérique Le coronavirus a tué plus de 400 000 personnes aux États-Unis. La pandémie et ses vastes répercussions seront la priorité absolue de la nouvelle administration. M. Biden l'a qualifiée de \"l'une des plus importantes batailles auxquelles notre administration sera confrontée\" et s'est engagé à mettre immédiatement en œuvre sa stratégie Covid. L'une de ses premières mesures sera une action de l'exécutif exigeant le port de masques dans les espaces fédéraux de tout le pays et lors des déplacements entre les États. Cependant, rien ne garantit que les gouverneurs des États qui se sont jusqu'à présent opposés au port de masques changeront soudainement d'avis - il semble qu'aucune autorité légale n'accorde à un président le pouvoir d'instaurer une règle sur le port de masques à l'échelle nationale. M. Biden semble avoir concédé ce point et dit qu'il essaiera personnellement de persuader les gouverneurs de changer d'avis. Biden devra convaincre les gouverneurs d'imposer le port du masque sur le territoire national S'ils ne sont pas réceptifs, il s'est engagé à appeler les maires et les responsables municipaux pour les gagner à la cause. Il n'y a pas non plus de mot sur la façon dont un mandat sera appliqué. 100 millions de doses de vaccin en 100 jours M. Biden veut accélérer le déploiement du vaccin avec pour objectif ultime de vacciner 100 millions de personnes avec au moins une première dose contre le Covid au cours de ses 100 premiers jours de mandat. Une partie du plan d'accélération consiste à libérer toutes les doses de vaccin disponibles au lieu d'en garder une partie en réserve pour la deuxième dose nécessaire. Badges pour les personnes qui ont été vaccinées sur le site de vaccination du stade de Gillette le 15 janvier 2021 à Foxborough, Massachusetts Il doit également prendre des mesures exécutives pour développer et déployer des tests rapides et mettre en place une chaîne nationale d'approvisionnement en équipements, médicaments et équipements de protection individuelle (EPI). Revenir dans l'OMS Il s'est engagé à revenir sur la décision de faire sortir les États-Unis de l'Organisation mondiale de la santé (OMS). M. Trump a annoncé des plans au cours de l'été pour retirer le pays de l'OMS, l'accusant de mal gérer le Covid après l'apparition du virus en Chine et disant qu'il n'a pas réussi à faire \"des réformes très nécessaires\". Décrets - M. Biden prévoit une rafale de mesures dans les deux premières semaines après son entrée en fonction. En voici quelques-uns : - Un retour des États-Unis à l'accord de Paris sur le climat - le pacte mondial sur la réduction des émissions de carbone - Abroger l'interdiction controversée de voyager dans les pays à majorité musulmane - Obligation de porter des masques sur les propriétés fédérales et lors de voyages entre États - Une extension des restrictions nationales sur les expulsions et les saisies dues à la pandémie - Poursuite de la suspension des paiements des prêts étudiants mise en place pendant la pandémie Lire aussi : Mesures économiques Allègement pour les locataires et les propriétaires L'équipe de M. Biden a déclaré qu'il avait des plans immédiats pour prolonger un moratoire sur les expulsions et les saisies de prêts immobiliers - qui ont tous deux été interrompus au début de la pandémie - ainsi que l'interruption actuelle des paiements des prêts étudiants fédéraux et des intérêts. L'équipe de transition de M. Biden a déclaré qu'il prévoit d'ordonner aux agences du Cabinet cette semaine de \"prendre des mesures immédiates pour apporter une aide économique aux familles de travailleurs\", sans toutefois donner plus de détails. 1,9 milliard de dollars pour l'économie américaine La semaine dernière, M. Biden a annoncé un plan de relance de 1,9 milliard de dollars (9,4 milliards de Fcfa) pour l'économie américaine victime du coronavirus, déclarant qu'\"une crise de profonde souffrance humaine est en vue et qu'il n'y a pas de temps à perdre\". Les locataires et petits propriétaires veulent une protection plus forte contre les expulsions S'il est adopté par le Congrès, il comprendra des paiements directs de 1 400 dollars (758.548 Fcfa) à tous les Américains. Il a également prévu des fonds pour aider les écoles à rouvrir en toute sécurité, ce qu'il souhaite faire dans les 100 premiers jours. Il s'ajoutera à un plan de relance de 900 milliards de dollars, attendu depuis longtemps, que le Congrès a adopté en décembre et que M. Biden a qualifié d'\"acompte\" sur le plan plus vaste proposé. Il est probable que les législateurs républicains s'opposent à certaines parties du projet de loi, qui ajouteront une dette supplémentaire à ce que les États-Unis ont déjà dépensé pour faire face à la pandémie - et M. Biden aura besoin d'un soutien bipartite pour ce plan. Les démocrates contrôlent actuellement les deux chambres du Congrès, mais seulement avec des marges étroites. Mettre fin aux réductions d'impôts jugées injustes L'aide Covid n'est pas la seule priorité de l'agenda économique du futur président. Il s'est engagé à se débarrasser des réductions d'impôts signées par M. Trump dès son entrée en fonction. M. Trump a adopté ces réductions en 2017, au début de sa présidence, et l'équipe de M. Biden affirme qu'elles récompensent injustement les Américains les plus riches et favorisent les grandes entreprises au détriment des petites. M. Biden a également déclaré qu'il doublerait rapidement les impôts que les entreprises américaines paient sur les bénéfices réalisés à l'étranger - une partie de sa campagne \"Made in America\" - ce qui s'ajouterait à une augmentation de l'impôt sur les sociétés. Sa législation en matière de politique fiscale devra être adoptée par le Congrès. A regarder : Joe Biden: Qui est le nouveau président américain ? Environnement et changement climatique De retour dans l'Accord de Paris Une autre initiative que M. Biden a déclaré vouloir prendre dès le premier jour de son mandat est le retour des Etats Unis dans l'accord de Paris sur le climat, un accord mondial dont l'objectif est de maintenir les températures en dessous de 2,0°C (3,6°F) par rapport à l'époque préindustrielle et de \"s'efforcer de les limiter\" encore plus, à 1,5°C. Son prédécesseur a retiré les États-Unis de l'accord de 2015 - il est devenu officiel le 4 novembre - ce qui en fait la première nation au monde à le faire. M. Biden s'est également engagé à \"relever la barre\" et à viser des normes plus élevées en matière de mesures d'atténuation du changement climatique, et à convoquer un sommet mondial sur le climat dans les 100 premiers jours de son mandat. M. Biden a déclaré qu'il souhaitait travailler avec le Congrès pour promulguer cette année une législation qui permettra aux États-Unis d'atteindre des émissions nettes nulles d'ici 2050. Annulation de l'oléoduc Keystone XL Dans une démarche qui a déjà suscité l'inquiétude chez ses voisins du nord, M. Biden aurait l'intention d'annuler immédiatement le permis transfrontalier pour le controversé pipeline Keystone XL, un projet prévu à partir des sables bitumineux de la province canadienne de l'Alberta, à travers le Montana et le Dakota du Sud, pour rejoindre un pipeline existant au Texas. Faire reculer les déréglementations Un autre point à l'ordre du jour est un retournement de situation sur une grande partie de l'héritage de M. Trump en matière de déréglementation climatique et énergétique, comme l'assouplissement des objectifs d'émissions des véhicules. M. Biden a déclaré qu'il négocierait de nouvelles limites d'émissions \"rigoureuses\" pour les voitures et les véhicules lourds, afin de conserver 30 % des terres et des eaux américaines d'ici 2030, d'interdire tout nouveau forage sur les terres publiques et de fermer la Réserve faunique nationale de l'Arctique au forage. La nouvelle administration déclare qu'elle prévoit également de mettre en place des limites \"agressives\" de pollution au méthane pour les opérations pétrolières et gazières et d'interdire toute nouvelle location de pétrole et de gaz sur les terres et les eaux publiques. Politique d'immigration Suppression de l'interdiction de voyager L'interdiction de voyager, signée par M. Trump sept jours seulement après son entrée en fonction en janvier 2017, sera l'une des premières politiques à être annulée. L'interdiction excluait initialement les personnes originaires de sept pays à majorité musulmane, mais la liste a été modifiée à la suite d'une série de contestations judiciaires. Elle restreint désormais les citoyens d'Iran, de Libye, de Somalie, de Syrie, du Yémen, du Venezuela et de Corée du Nord. A regarder : Kamala Harris: La nouvelle vice-présidente américaine Une voie vers la citoyenneté Dans un autre engagement majeur en matière d'immigration, M. Biden a déclaré qu'il enverrait rapidement au Congrès un projet de loi établissant une voie vers la citoyenneté pour plus de 11 millions d'immigrants sans papiers. \"Et tous ces soi-disant rêveurs, ces enfants du programme Daca (Deferred Action for Childhood Arrivals), ils vont être immédiatement certifiés à nouveau pour pouvoir rester dans ce pays et s'engager sur la voie de la citoyenneté\", a-t-il déclaré fin octobre. Vers la fin de l'élection, la campagne a annoncé que M. Biden allait créer un groupe de travail pour réunir quelque 545 enfants migrants séparés de leurs parents à la frontière sud des États-Unis. En décembre, l'équipe de M. Biden a admis qu'il lui faudrait plus de temps pour faire reculer l'une des politiques de M. Trump, les protocoles de protection des migrants qui obligent des milliers de demandeurs d'asile à attendre au Mexique les audiences des tribunaux américains de l'immigration. Les fonctionnaires affirment qu'il faudra environ six mois pour respecter l'engagement pris le premier jour. Mettre fin à la construction de murs à la frontière Le président américain Donald Trump visite et signe une section du mur de la frontière entre les États-Unis et le Mexique M. Biden s'est engagé à arrêter la construction d'un projet synonyme de la présidence de M. Trump - le mur frontalier entre les États-Unis et le Mexique. Sa campagne avait qualifié ce projet de \"gaspillage d'argent\" qui \"détourne des ressources essentielles des vraies menaces\". L'administration affirme qu'elle va plutôt détourner les fonds fédéraux vers des efforts tels que de nouvelles mesures de contrôle aux frontières. Réforme de la justice pénale et raciale La quatrième crise est la plus importante au niveau national, avec celle de Covid, de l'économie et du climat, et M. Biden affirme qu'il doit s'y attaquer rapidement. Certaines de ces politiques - comme la lutte contre les disparités raciales dans le domaine du logement et des soins de santé - recoupent ses autres projets. Il a promis de mettre en place un organe national de surveillance de la police pour aider à réformer les services de police au cours de ses 100 premiers jours de mandat, bien que les détails de ce plan ne soient pas dévoilés. Il a déclaré qu'il souhaitait une adoption rapide par le Congrès de la \"Safe Justice Act\", qui comprend des mesures sur la réforme des peines minimales obligatoires et l'augmentation du financement de la police de proximité. A regarder : Quand on devient un ancien président Protection des LGBT Il a également pris des engagements envers la communauté LGBT, comme l'affectation de ressources à la prévention de la violence contre les transsexuels, la levée de l'interdiction de servir dans l'armée et le rétablissement de l'orientation des élèves transsexuels dans les écoles. Une autre priorité est l'adoption de la loi sur l'égalité, qui ajouterait l'orientation sexuelle et l'identité de genre aux lois fédérales existantes sur les droits civils, bien que la vitesse à laquelle il pourra adopter cette loi reste incertaine. Rassurer les alliés des États-Unis Le nouveau président déclare qu'il prévoit de tendre rapidement la main aux alliés des États-Unis pour restaurer les relations et promettre que \"l'Amérique vous soutient\", en disant que les États-Unis doivent \"prouver au monde qu'ils sont prêts à diriger à nouveau - non seulement avec l'exemple de notre puissance mais aussi avec la puissance de notre exemple\". Il a déclaré que dès son premier jour dans le bureau ovale, il s'adresserait aux alliés de l'OTAN en leur disant \"nous sommes de retour et vous pouvez à nouveau compter sur nous\". Bien que M. Trump n'ait pas été le premier président à faire pression sur les autres membres de l'Organisation du traité de l'Atlantique Nord pour qu'ils dépensent davantage pour la défense, il a parfois menacé de se retirer de l'alliance que M. Biden a qualifiée de \"rempart de l'idéal démocratique libéral\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56459634", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56455852", "doc1": "অং থুরা কোথায় আছেন তা জানতে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছে বিবিসি বিবিসির বার্মিজ বিভাগের রিপোর্টার অং থুরা রাজধানী নেপিডতে কোর্ট ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে যখন কাজ করছিলেন, তখন সেখান থেকে তাকে সাধারণ পোশাকধারী লোকজন তুলে নিয়ে যায়। বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, অং থুরার ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন এবং তিনি কোথায় আছেন তা জানতে সাহায্য করার জন্য বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারে শুক্রবারের সর্বশেষ বিক্ষোভে আরও অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির অং থুরা ছাড়াও স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টাল মিজিমার একজন সাংবাদিক থান টিকে অংকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এমাসের শুরুতে এই সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করে বার্মিজ কর্তৃপক্ষ। ইয়াংগনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা বিবিসির সাংবাদিককে যারা তুলে নিয়ে যান, তারা এসেছিলেন দুপুরবেলা একটি অচিহ্নিত গাড়িতে। তারা অং থুরাকে দেখতে চান বলে জানান। এর পর থেকে বিবিসি আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, \"মিয়ানমারে সব কর্মীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবিসি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এবং অং থুরাকে খুঁজে পেতে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি তার অবস্থান জানতে সহায়তা করতে এবং তিনি যে নিরাপদ আছেন তা নিশ্চিত করতে। অং থুরা বিবিসির একজন সাংবাদিক এবং নেপিডতে বিভিন্ন ঘটনাবলীর সংবাদ সংগ্রহের বহুদিনের অভিজ্ঞতা তার রয়েছে।\" আরও পড়ুন: মিয়ানমারে একদিনেই নিহত হলো ৩৮ জন বিক্ষোভকারী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর ঘোষণা মিয়ানমারের নেতাদের মিয়ানমারে বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে চীন সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অং সান সুচি সহ মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক নেতারাও আটক রয়েছেন। ইয়াংগন থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে, সেখানে বহু মানুষ সহিংসতা থেকে বাঁচতে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে এবং রাস্তায় অনেক যানজট। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় যেসব ব্যারিকেড দিয়েছে, সেগুলো সরাতে পুলিশ লোকজনকে বাধ্য করছে। অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে 'এসিস্ট্যান্স ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স একটিভিস্ট গ্রুপ\" বলে একটি সংগঠন। গত ১৪ মাস সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত সহিংসতা হয়েছে। সেদিন মারা যায় ৩৮ জন।", "doc2": "La BBC a demandé aux autorités de l'aider à localiser Aung Thura. Aung Thura est emmené par des hommes en civil alors qu'il était en reportage devant un tribunal de la capitale, Nay Pyi Taw. La BBC se dit extrêmement préoccupée et appelle les autorités à l'aider à le retrouver. Au moins huit personnes seraient mortes lors des dernières manifestations, qui ont eu lieu dans plusieurs villes. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Aung Thura est emmené avec un autre reporter, Than Htike Aung, qui travaille pour l'agence de presse locale Mizzima. La licence d'exploitation de Mizzima a été retirée par le gouvernement militaire au début du mois. Les hommes qui ont arrêté les journalistes sont arrivés dans une camionnette banalisée vers midi, heure locale (05h30 GMT), vendredi, et ont demandé à les voir. La BBC n'a pas pu contacter Aung Thura depuis. \"La BBC prend très au sérieux la sécurité de tout son personnel au Myanmar et nous faisons tout ce que nous pouvons pour retrouver Aung Thura\", annonce la société dans un communiqué. \"Nous appelons les autorités à aider à le localiser et à confirmer qu'il est en sécurité\". Aung Thura est un journaliste accrédité de la BBC qui a de nombreuses années d'expérience dans la couverture des événements à Nay Pyi Taw.\" Quarante journalistes ont été arrêtés depuis le coup d'État militaire et plusieurs dirigeants civils élus sont également détenus, dont Aung San Suu Kyi. Des manifestants aux barricades dans le canton de Thaketa à Yangon, vendredi. Seize personnes sont toujours en détention et l'armée a retiré les licences de cinq entreprises de médias. Les huit personnes tuées vendredi ont été abattues par les forces de sécurité dans la ville centrale d'Aungban, selon un directeur de morgue et les médias locaux. \"Les forces de sécurité sont venues enlever les barrières mais les gens ont résisté et ils ont tiré des coups de feu\", explique un témoin à l'agence de presse Reuters. Lire aussi : Selon des informations en provenance de Yangon, les rues sont encombrées, de nombreuses personnes tentant de fuir les violences dans la principale ville du pays. La police y forcerait également les gens à enlever les barricades érigées par les manifestants. Les violences post-coup d'État ont coûté la vie à au moins 232 Birmans, selon l'Association d'assistance aux prisonniers politiques. L'un des jours les plus sanglants a été le 14 mars, où 38 personnes ont été tuées. Profil du Myanmar Vous pourriez être intéressé par : Qui sont les Rohingya musulmans?"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50133610", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50122221", "doc1": "ক্যান্সার হওয়ার আগেই যাতে উপসর্গ সনাক্ত করে একজন ব্যক্তিকে চিকিৎসার আওতায় আনা যায় সেটিই এই গবেষণার লক্ষ্য। ল্যাবরেটরিতে ক্যান্সার \"জন্ম দেয়ার\" পরিকল্পনা করছেন তারা। ক্যান্সার হওয়ার সময় প্রথমদিন কি অবস্থা হয় সেটি তারা দেখতে চান বলে জানান। এটি ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্তকরণের জন্য নতুন আন্তর্জাতিক জোটের গবেষণা উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি। এতে বলা হয়, ক্যান্সারের উপসর্গ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্তকরণে একসাথে কাজ করার অর্থ হলো, রোগীরা আরও দ্রুত এর থেকে লাভবান হবেন। এ বিষয়ে ধারণা, প্রযুক্তি এবং দক্ষতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি ক্যান্সার রিসার্চ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যানচেস্টার, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড এবং ওরেগনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে এই জোট গঠন করেছে। আগে থেকেই আছে বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে চেষ্টা করছেন যে, উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের তুলনামূলক কম জটিল পরীক্ষা যেমন রক্ত, শ্বাস এবং মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা, ইমেজিং কৌশল ব্যবহার করে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত এবং সনাক্ত করা যায় না এমন লক্ষণও যাতে ধরা পড়ে এমন কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। তবে তারা বলছেন যে, এই চেষ্টা অনেকটা \"খরের গাদায় সুঁই খোঁজা\"র মতো এবং এর জন্য ৩০ বছর সময় লাগতে পারে। আরো পড়ুন: রেনিটিডিন নিষিদ্ধ করলো বাংলাদেশ-সহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের ডিটারজেন্টে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রাথমিক সনাক্তকরণ গবেষণার প্রধান ডা. ডেভিড ক্রসবি বলেন, \"সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা কখনো মানুষের শরীরে ক্যান্সার জন্মাতে দেখতে পারি নি।\" \"সময়ের সাথে সাথে এটা সম্ভব হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিতও বটে।\" ক্যান্সারের জন্য রক্ত পরীক্ষার কথা বলে থাকেন বিজ্ঞানীরা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের গবেষকরা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে তারা ল্যাবে কৃত্রিম প্রতিরোধক কোষ থেকে মানুষের স্তনের টিস্যু জন্মানোর চেষ্টা করছেন যাতে খুব প্রাথমিক অবস্থাতেই ক্যান্সার সৃষ্টির সূক্ষ্ম পরিবর্তনও সনাক্ত করা যায়। অধ্যাপক রব ব্রিস্টো বলেন, \"এটা রোগীর দেহের বাইরে জীবন্ত কোষ ব্যাংকের মতো।\" তবে সব সময়ই ওভার-ডায়াগনোসিসের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় থাকা সব কোষই ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয় না। আর তাই, মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি জানতে হলে ক্যান্সার গবেষকদের আরো সুনির্দিষ্ট হতে হবে, মানুষ যে জিন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে সেটির বিষয়ে জানতে হবে এবং যে পরিবেশে তারা বেড়ে ওঠে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হলেই কেবল তারা বুঝতে পারবেন যে কখন ব্যবস্থা নিতে হবে। \"ব্যয়বহুল লড়াই\" এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত করার যে গবেষণা সেটি এখনো ছোট মাত্রায় এবং সংযোগহীন। এছাড়া বড় আকারের মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করার সুযোগও নেই। ডা. ক্রসবি বলেন, এই সমন্বয় \"আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সাগর সমান পরিবর্তন আনবে, শেষ পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্তের পর তার চিকিৎসায় ব্যয়বহুল লড়াইয়ের পরিবর্তে প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত এবং এর চিকিৎসা আরো বেশি সস্তা করা হবে।\" জরিপ বলছে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৯৮ শতাংশ রোগী চিকিৎসার পর কমপক্ষে ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আর ৪র্থ ধাপে বা শেষ পর্যায়ে আক্রান্ত হলে এই হার থাকে মাত্র ২৬ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মাত্র ৪৪ শতাংশ রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যুক্তরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর মানুষের স্তন, অন্ত্র এবং জরায়ুর ক্যান্সার আছে কিনা তা পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। তবে অন্যান্য ক্যান্সার যেমন অগ্ন্যাশয়, যকৃত, ফুসফুস এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার সনাক্তের জন্য নির্ভরযোগ্য কোন পদ্ধতি নেই, যার মানে হচ্ছে এসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আরো কম। ইউসিএল এর অধ্যাপক মার্ক এমবার্টন বলেন, ইমেজিং এর উন্নয়ন যেমন এমআরআই ছিল \"নীরব বিপ্লব\" যা বায়োপসির জন্য ব্যবহৃত সুচকে প্রতিস্থাপন করেছে যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। প্রোস্টে��� ক্যান্সারের ভবিষ্যত চিকিৎসা হতে পারে হাইপার-পোলারাইজড এমআরআই স্ক্যান \"ইমেজিংয়ে শুধু আগ্রাসী কোষগুলোকে দেখা যায়, কিন্তু চিকিৎসায় দরকারি নয় এমন অন্য অনেক বিষয় এটি এড়িয়ে যায়,\" তিনি বলেন। কিন্তু এটা ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ এবং \"এটি এখনো প্রাইম টাইমে আসার মতো হয়নি।\" ইমেজিং এখন আরো বেশি উন্নত হয়েছে, আরো সুনির্দিষ্ট হাইপার-পোলারাইজ এমআরআই স্ক্যান এবং ছবি যেখানে টিউমারে লেজার লাইট পরিচালনা করে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো বিশ্লেষণ করে নতুন ইমেজ তৈরি করা হয়। অধ্যাপক এমবার্টন বলেন, পরবর্তী ধাপ ছিলো এটা দেখা যে, কোন ধরণের ক্যান্সার এই ইমেজিংয়ে ধরা পরে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেবেকা ফিৎজারেল্ড, খাদ্য নালী এবং কোলনে প্রাক-ক্যান্সারজনিত ক্ষত সনাক্ত করতে নতুন ধরণের একটি এন্ডোস্কোপ তৈরি করছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করার বিষয়ে তেমন মনোযোগ দেয়া হয়নি এবং ক্যান্সার সনাক্তে কিছু পরীক্ষা খুবই সাধারণ এবং সস্তা হতে পারে। অধ্যাপক ফিৎজারেল্ড বলেন, আন্তর্জাতিক সহকর্মীদের সাথে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি এবং \"সম্ভাব্য সব ধরণের উপায় খতিয়ে দেখতে চান তিনি।\" যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রাথমিক সনাক্তকরণের গবেষণায় আন্তর্জাতিক যৌথ প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। যেখানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কানারি সেন্টার এবং ওরেগনের ওএইচএসইউ নাইট সেন্টার ইন্সটিটিউট যৌথভাবে ২০ মিলিয়নে দেয়ার কথা জানিয়েছে।", "doc2": "Ils ont l'intention de \"donner naissance\" à un cancer en laboratoire pour voir exactement à quoi il ressemble \"le premier jour\". Ce n'est qu'une des priorités de recherche de la nouvelle Alliance internationale pour le dépistage précoce du cancer. Lire aussi: Travailler ensemble à la détection précoce du cancer permettra aux patients d'en bénéficier plus rapidement, dit-il. L'organisation caritative Cancer Research UK s'est associée aux universités de Cambridge, Manchester, University College London (UCL), Stanford et Oregon aux Etats-Unis, pour partager des idées, des technologies et des compétences dans ce domaine. Déjà sur place Ensemble, les scientifiques visent à mettre au point des tests moins invasifs, tels que des tests sanguins, d'haleine et d'urine, pour surveiller les patients à haut risque et améliorer les techniques d'imagerie pour la détection précoce du cancer et rechercher les signes pratiquement indétectables de la maladie. Mais ils admettent que c'est \"comme chercher une aiguille dans une botte de foin\", et que cela pourrait prendre 30 ans. \"Le problème fondamental est que nous ne voyons jamais un cancer naître chez un être humain\", explique le Dr David Crosby, responsable de la recherche en détection précoce à Cancer Research UK. \"Le temps qu'on la trouve, elle est déjà établie\", déplore-t-il. Un test sanguin pour le cancer est recherché depuis longtemps par les scientifiques. Des chercheurs de Manchester, au Royaume-Uni, par exemple, cultivent du tissu mammaire humain en laboratoire à l'aide de cellules immunitaires synthétiques pour voir s'ils peuvent repérer les changements les plus précoces et les plus subtils qui pourraient mener au cancer. Le professeur Rob Bristow a dit qu'il s'apparentait à une \"banque de tissus vivants hors des patients\". Pourtant, il y a toujours un risque de surdiagnostic, car tous les changements cellulaires précoces ne se transforment pas en cancer. Lire aussi : Les chercheurs sur le cancer disent donc qu'ils doivent être plus précis, en examinant également les gènes avec lesquels les gens naissent et l'environnement dans lequel ils grandissent, pour déterminer le risque personnel unique qu'un individu présente pour différents cancers. Ce n'est qu'alors qu'ils sauront quand intervenir. ''Coûteuse lutte contre l'incendie'' Jusqu'à présent, les scientifiques affirment que la recherche sur la détection précoce a été à petite échelle et déconnectée, n'ayant pas le pouvoir d'essai sur de grandes populations de personnes. Le Dr Crosby a déclaré que cette collaboration \"induirait un changement radical dans nos systèmes de santé, en les faisant passer d'une lutte coûteuse contre les maladies à un stade avancé à la possibilité d'intervenir le plus tôt possible et de fournir un traitement rapide et économique\". Les chiffres montrent que 98 % des patientes atteintes d'un cancer du sein vivent cinq ans ou plus si la maladie est diagnostiquée au stade 1 - le stade le plus précoce - comparativement à seulement 26 % au stade 4, le stade le plus avancé. Mais, à l'heure actuelle, seulement 44 % environ des patientes atteintes d'un cancer du sein sont diagnostiquées à un stade précoce. Au Royaume-Uni, il existe des programmes de dépistage des cancers du sein, de l'intestin et du col de l'utérus, lorsque les gens atteignent un certain âge. L'IRM hyper-polarisée pourrait être l'avenir pour le diagnostic du cancer de la prostate. Cependant, il n'existe actuellement aucun outil de dépistage fiable pour d'autres cancers, comme le pancréas, le foie, le poumon et la prostate, ce qui signifie que les taux de survie sont souvent beaucoup plus faibles. Le professeur Mark Emberton, de l'UCL, a déclaré que la croissance de l'imagerie, comme l'IRM, était une \"révolution silencieuse\" qui pourrait remplacer les aiguilles utilisées dans les biopsies, pour le diagnostic du cancer de la prostate. \"L'imagerie ne voit que les cellules agressives, elle ne tient pas compte de ce que l'on ne veut pas trouver et s'attaque au surdiagnostic\", dit-il, mais il a prévenu que cela coûtait cher et prenait du temps, et qu'il 'n'était pas encore prêt'. Des scanners IRM hyperpolarisés plus précis et une photoacoustique plus précise, où la lumière laser est appliquée à la tumeur, créant des ondes sonores qui sont analysées pour produire des images, sont les prochains progrès mis à l'essai en imagerie. Vous pouvez également être intéressé par : Le professeur Emberton déclare que le prochain objectif est de voir quels cancers se prêtent à ce type d'imagerie. À l'Université de Cambridge, la professeure Rebecca Fitzgerald met au point un endoscope avancé pour détecter les lésions précancéreuses dans le tuyau d'alimentation et le côlon. Elle a dit que la détection précoce n'avait pas reçu l'attention qu'elle méritait et que certains tests pour le cancer pouvaient être très simples et peu coûteux. La professeure Fitzgerald a dit qu'elle avait hâte de travailler avec ses collègues internationaux pour faire avancer les idées \"du laboratoire au chevet du patient\". Cancer Research UK promet d'investir 50 millions de dollars dans l'Alliance internationale pour la détection précoce du cancer au cours des cinq prochaines années, dont 20 millions de dollars seront versés par le Canary Center de l'Université Stanford et l'OHSU Knight Cancer Institute en Oregon. Voir aussi : Fathma Guenoune présidente de la ligue sénégalaise de lutte contre le cancer"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49078939", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-45723423", "doc1": "ক্যাথরিন মায়ারগো নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল লাস ভেগাসের এক হোটেলে ২০০৯ সালে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেন। যদিও য়্যুভেন্টাস ক্লাবের খেলোয়াড় শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন। ৩৪ বছর বয়সী মিজ মায়ারগো পেশায় একজন শিক্ষিকা ছিলেন। বলা হচ্ছে যে, এ ব্যাপারে তিনি যেন মুখ না খোলেন সেজন্য আদালতের বাইরে রোনালদোর সাথে তার ২০১০ সালে আপস-রফা হয়েছিল । বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় রোনালো আদালতের বাইরে আপস-রফার জন্য মিজ মায়োরগাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন বলে বলা হয়। তবে গতবছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে পুনরায় অভিযোগ তোলেন মিজ মায়ারগো। এ বিষয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে লাস ভেগাসের প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা যায়নি। তার বিরুদ্ধে \"কোনও অভিযোগ আনা হচ্ছে না\" বলা হয় বিবৃতিতে। ক্লার্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিস জানায়, ভিকটিম ২০০৯ সালে একটি যৌন হামলার অভিযোগ জানান, কিন্তু তা কোথায় ঘটেছে বা হামলাকারী ব্যক্তি কে-তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন । এর ফলে কোনধরণের অর্থবহ তদন্ত-কাজ চালিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ২০১৮ সালের আগস্টে ভুক্তভোগী নারীর অনুরোধে লাস ভেগাসের পুলিশ সদস্যরা এই অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। আরো পড়তে পারেন: ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে যা বলছেন রোনালদো মেসি ও রোনালদো - কে, কার অনুপ্রেরণা? কিন্তু বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেই সময়কার তথ্যের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগের সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়নি। ফলে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হচ্ছে না। জার্মান সাপ্তাহিক পত্রিকা দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনে গতবছর প্রথম এই ধর্ষণের অভিযোগের খবর আসে। তখন বলা হয়, ২০১০ সালে রোনালদো আদালতের বাইরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন মায়োরগাকে যাতে তিনি এই ব্যাপারে কোনও অভিযোগ না তোলেন। মিজ মায়োরগার আইনজীবী লেজলি স্টোভাল জানান যে, তার মক্কেল যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'মি টু ক্যাম্পেইন' ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এই অভিযোগ পুনরায় সামনে তুলে ধরতে উৎসাহিত হন। রোনালদো ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যে দুজনের সাক্ষাত হয়েছিল সেটা তিনি অস্বীকার করেননি। কিন্তু বলেছেন, তাদের মধ্যে যা ঘটেছে তা উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে। সেসময় রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে খেলতেন এবং রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার কথা-বার্তা চলছিল(যেখানে পরবর্তী নয়বছর খেলেন রোনালদো)। গত জুলাই মাসে তিনি য়্যুভেন্টাসে যোগ দেন। রোনালদো বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি'অর অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন একাধিকবার ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে।", "doc2": "Ronaldo affirme que le viol dont il est accusé est \"une fausse nouvelle\". Kathryn Mayorga déclare que l'agression a eu lieu dans une chambre d'hôtel de la ville américaine, en 2009. L'attaquant de la Juventus, âgé de 33 ans, a qualifié la semaine dernière cette accusation de \"fausse nouvelle\". \"Ils veulent faire leur propre publicité en utilisant mon nom. C'est normal\", a-t-il dit dans une vidéo postée sur son compte Instagram. La plainte contre lui a été révélée par le journal allemand Der Spiegel, contre lequel les avocats du joueur ont décidé de porter plainte. A lire aussi : Accusé de viol, Ronaldo parle de \"fausses nouvelles\" Ronaldo accusé de viol par une jeune Américaine Selon Der Spiegel, Kathryn Mayorga, âgée de 34 ans, a déposé une plainte auprès de la police de Las Vegas, peu après l'incident présumé en 2009. Ronaldo est le capitaine de la Juventus de Turin. En 2010, elle aurait conclu un règlement à l'amiable avec Ronaldo, qui aurait payé 375.000 dollars US pour étouffer l'affaire. Le footballeur n'a jamais signé un accord financier avec la plaignante, selon ses avocats. La police de Las Vegas a confirmé qu'elle avait enquêté sur cette affaire à la suite d'une plainte déposée en juin 2009. Mais les policiers américains précisent que le nom du suspect n'avait pas été mentionné dans la plainte. La plaignante n'avait pas indiqué aux enquêteurs le lieu de l'incident, selon les policiers. \"En septembre 2018, l'affaire a été rouverte, et nos détectives assurent le suivi des informations qui leur ont été fournies\", ajoutent-ils. Ronaldo a été recruté par la Juventus de Turin pour 128 millions de dollars US, durant l'été dernier."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48848612", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48854374", "doc1": "স্বামী ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে আছেন প্রিন্সেস হায়া ৬৯ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মেদ একজন বিলিয়নিয়ার। ইন্সটাগ্রামে কয়েকটি কবিতা পোস্ট করেছেন যেখানে একজন নারীকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দায়ী করেছেন। জর্ডান বংশোদ্ভূত ও ব্রিটেনে লেখাপড়া শেখা ৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রিন্সেস হায়া ছিলেন শেখ মোহাম্মেদের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী। বিভিন্ন স্ত্রীর ঘরে দুবাইয়ের এই শাসকের ২৩টি সন্তান আছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া প্রথমে জার্মানি গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে। এখন তিনি বাস করছেন লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনসের একটি টাউন হাউজে যার মূল্য প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলার। তিনি এখন আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ঘোড়া' বলায় দুবাইয়ে কারাগারে ব্রিটিশ নারী উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে বরগুনা হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্সেস হায়া, লন্ডনেই থাকতে চান তিনি কিন্তু কেন তিনি দুবাইয়ের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে পালিয়েছেন? আবার তিনি এখন জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন? তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে প্রিন্সেস হায়া সম্প্রতি তার স্বামীর এক কন্যা শেখ লতিফার দুবাই থেকে পালিয়ে আবার রহস্যজনক ফিরে আসার পেছনে কিছু বিষয় জেনে যান। শেখ লতিফা এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সাগর পথে পালিয়েছিলেন কিন্তু ভারতীয় উপকূলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদে��� বাধা দেয় ও পরে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় দুবাইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রিন্সেস হায়া তখন সেসময় আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসনের সাথে কাজ করেছিলেন। দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে যে শেখ লতিফা এখন দুবাইতে নিরাপদে আছেন, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে তাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর প্রিন্সেস হায়া সত্যি কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এ নিয়ে তার স্বামীর পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। একটি সূত্র জানায়, তিনিও অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে এখন আশঙ্কা করছেন। যদিও লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। তারা বিষয়টিকে একজনের ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রিন্সেস হায়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং এখন তিনি যুক্তরাজ্যেই বসবাস করতে চান। তবে যদি তার স্বামী তাকে ফেরানোর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেন তাহলে এটা ব্রিটেনের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার বিষয় হবে। আরব আমিরাত যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ। ঘটনাটি জর্ডানের জন্যও বিব্রতকর কারণ প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর সৎ বোন। আবার জর্ডানের বিপুল সংখ্যক নাগরিক দুবাইতে কাজ করে ও বিপুল রেমিট্যান্স আয় করে। তাই দুবাইয়ের সাথে বিরোধে জড়ানো কঠিন হবে জর্ডানের জন্যও।", "doc2": "La princesse Haya a fui son mari à Dubaï et se cache à Londres. Cheikh Mohammed, 69 ans, un milliardaire propriétaire d'un cheval de course et souvent vu en conversation avec la reine à Ascot, a publié un poème furieux sur Instagram accusant une femme non identifiée de \"tromperie et trahison\". La princesse Haya, 45 ans, d'origine jordanienne et qui a fait ses études en Grande Bretagne, a épousé Sheikh Mohammed - propriétaire des écuries Godolphin - en 2004, devenant ainsi sa sixième et \"jeune épouse\". Sheikh Mohammed aurait 23 enfants de différentes épouses. La princesse Haya s'est d'abord enfuie cette année en Allemagne pour demander l'asile. Lire aussi: Trois hommes condamnés à nettoyer le zoo de Dubaï Elle tue son amant et prépare un plat avec son corps Elle vivrait maintenant dans une maison de 85 millions de livres sterling (107 millions de dollars) dans les Kensington Palace Gardens, au centre de Londres, et se prépare à une bataille juridique devant la Haute Cour. Alors qu'est-ce qui l'a poussée à fuir sa vie de Princesse à Dubaï et pourquoi a -t-elle \"peur pour sa vie\" ? What happened to Dubai's Sheikha Latifa? Des sources proches d'elle ont affirmé que la princesse Haya avait récemment découvert des faits troublants derrière le mystérieux retour à Dubaï l'année dernière de Cheikha Latifa, l'une des filles du souverain. Elle a fui les Émirats arabes unis par la mer avec l'aide d'un Français, mais a été interceptée par des hommes armés au large des côtes indiennes et est retournée à Dubaï. La princesse Haya et l'ancien président irlandais Mary Robinson ont alors défendu la réputation de Dubaï à la suite de cet incident. Les autorités de Dubaï ont déclaré que Cheikha Latifa était \"vulnérable à l'exploitation\" et était \"désormais en sécurité à Dubaï\". Mais les défenseurs des droits humains ont déclaré qu'elle avait été enlevée contre son gré. Depuis lors, la princesse Haya aurait appris de nouveaux faits sur l'affaire et, par conséquent, elle aurait subi une hostilité et des pressions croissantes de la part des membres de la famille élargie de son mari jusqu'à ce qu'elle ne se sente plus en sécurité à Dubaï. Une source proche a confié qu'elle craignait d'être enlevée et \"rendue\" à Dubaï. L'ambassade des Émirats arabes unis à Londres a refusé de commenter ce qu'elle considère comme une affaire personnelle. La princesse Haya a fait ses études dans le Dorset et à Oxford et on pense qu'elle voudra probablement rester au Royaume-Uni. Cependant, cette histoire \"personnelle\" pourrait prendre une tournure internationale. La princesse Haya, qui a fait ses études à l'école Bryanston dans le Dorset puis à l'université d'Oxford, est susceptible de vouloir rester au Royaume-Uni. Si son ex-mari exige son retour, cela pose un casse-tête diplomatique pour la Grande-Bretagne, qui a des liens étroits avec les Émirats arabes unis. L'affaire est également embarrassante pour la Jordanie puisque la princesse Haya est la demi-sœur du roi Abdallah de Jordanie. Près d'un quart de million de Jordaniens travaillent dans les Émirats arabes unis et envoient des fonds et la Jordanie ne peut pas se permettre une rupture diplomatique avec Dubaï."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55270114", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55273839", "doc1": "মরক্কোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ব্যাপক সমর্থন আছে - গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে কাসাব্লাকায় বিক্ষোভ মরক্কো জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। চুক্তি অনুযায়ী, বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর যে দাবি, তাকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চল নিয়ে মরক্কো এবং আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের মধ্যে বিরোধ চলছে। পলিসারিও ফ্রন্ট সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গত অগাস্টের পর থেকে মরক্কো হলো চতুর্থ রাষ্ট্র, যারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে এলো। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদান এ ধরণের চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। অন্যদিকে মিসর ও জর্ডানের পর মরক্কো হলো আরব লীগের ষষ্ঠ সদস্য, যারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি এক পা এগিয়ে দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব, হতাশ ইসরায়েল মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ চুক্তিতে যা আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার টুইটারে এ চুক্তির কথা প্রকাশ করেন। \"আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে - মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রযাত্রা,\" জানান প্রেসিডেন্ট। চুক্তি অনুযায়ী, ২০০০ সালে তেল আবিব ও রাবাতে বন্ধ করে দেয়া দুই দেশের লিয়াজো অফিসগুলো পুনরায় চালু করা হবে। কর্মকর্তারা বলছেন য��� মরক্কো ইসরায়েলিদের জন্য সরাসরি বিমান চলাচলের অনুমোদন দেবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যেও যোগাযোগ বাড়ছে বলে মনে করা হয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি মরক্কোর বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে, মরক্কোর বাদশাহর প্রাসাদ থেকে দেয়া বিবৃতিতে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয় যে টেলিফোনে মিস্টার ট্রাম্পের সাথে আলোচনার সময় সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাদশাহ সম্মতি দিয়েছেন। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন এই তিন আরব দেশ মরক্কো এবং ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ তাদের অধিকার হরণে ইসরায়েলকে আরও উৎসাহিত করবে।", "doc2": "Donald Trump a annoncé l'accord sur Twitter Dans le cadre de cet accord, les États-Unis ont accepté de reconnaître la revendication du Maroc sur la région contestée du Sahara occidental. Cette région fait l'objet d'un conflit entre le Maroc et le Front Polisario, soutenu par l'Algérie, qui cherche à établir un État indépendant. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Le Maroc est le quatrième État à conclure un tel accord avec Israël depuis le mois d'août. Des accords ont également été conclus récemment avec les Émirats arabes unis, Bahreïn et le Soudan. Après l'Égypte et la Jordanie, le Maroc devient le sixième membre de la Ligue arabe à normaliser ses relations avec Israël. Que dit l'accord ? Le roi Mohammed VI du Maroc (à gauche) et l'Israélien Benjamin Netanyahu Le président américain Donald Trump a annoncé l'accord sur Twitter ce jeudi. \"Une autre percée HISTORIQUE aujourd'hui ! Nos deux GRANDS amis, Israël et le Royaume du Maroc, ont accepté d'établir des relations diplomatiques normales - une énorme percée pour la paix au Moyen-Orient\", a-t-il écrit. La Maison Blanche a déclaré que M. Trump et le roi du Maroc Mohammed VI avaient convenu que le Maroc \"reprendrait les relations diplomatiques entre le Maroc et Israël et élargirait la coopération économique et culturelle pour faire progresser la stabilité régionale\". Lire aussi : L'accord prévoit la réouverture des consulats à Tel-Aviv et Rabat - fermés en 2000 lorsque les relations ont été rompues après le déclenchement du soulèvement palestinien - et l'ouverture à terme d'ambassades. Les responsables ont affirmé que le Maroc établirait des vols directs à destination et en provenance d'Israël pour tous les Israéliens. Le Premier ministre israélien Benjamin Netanyahu a salué cet accord \"historique\". Dans un discours télévisé, il a remercié le roi du Maroc et a déclaré que les peuples d'Israël et du Maroc ont eu \"des relations chaleureuses par le passé\". Au Maroc, une déclaration du palais a confirmé l'accord, disant que le roi, dans un appel téléphonique avec M. Trump, avait accepté d'établir des relations diplomatiques avec Israël \"dans un très court délai\". L'Egypte, les EAU et le Bahreïn ont publié des déclarations saluant l'accord entre le Maroc et Israël. Les responsables palestiniens ont condamné l'accord, affirmant qu'il encourageait Israël à les priver de leurs droits. Lire également : Les Palestiniens ont critiqué tous les accords récents entre Israël et les pays de la Ligue arabe. Ils estiment que ces initiatives reviennent sur une promesse des États arabes de ne pas nouer de relations avec Israël tant que l'État palestinien ne sera pas reconnu comme un État. Le roi du Maroc a déclaré que les \"mesures n'affectent en aucune façon l'engagement continu et soutenu du Maroc envers la juste cause palestinienne\", selon une déclaration royale. La déclaration ajoute que le roi s'est entretenu avec le président de l'Autorité palestinienne Mahmoud Abbas et lui a assuré qu'il \"n'abandonnera jamais son rôle dans la défense des droits légitimes du peuple palestinien\". Il a ajouté que le roi avait réitéré son soutien à une «solution à deux Etats». Qu'en est-il du Sahara occidental ? La Maison Blanche a déclaré que les Etats-Unis reconnaîtraient la souveraineté du Maroc sur le Sahara Occidental dans le cadre de l'accord. Lors d'un appel téléphonique avec le roi du Maroc, M. Trump a \"réaffirmé son soutien à la proposition d'autonomie sérieuse, crédible et réaliste du Maroc comme étant la seule base pour une solution juste et durable au conflit sur le territoire du Sahara occidental et en tant que tel, le président a reconnu la souveraineté marocaine sur l'ensemble du territoire du Sahara occidental\", a déclaré la Maison Blanche. Ancienne colonie espagnole, le Sahara occidental a été annexée par le Maroc en 1975. Depuis lors, il a fait l'objet d'un long conflit territorial entre le Maroc et le peuple sahraoui, mené par le Front Polisario pro-indépendance. Lire plus : Le Maroc affirme que cette région a toujours fait partie de son territoire, alors que l'Union africaine le reconnaît comme un État indépendant. La guerre d'insurrection qui a duré 16 ans s'est terminée par une trêve négociée par l'ONU en 1991 et la promesse d'organiser un référendum sur l'indépendance, qui n'a toujours pas eu lieu. En réponse à ces récentes annonces, Sidi Omar, le représentant du Front Polisario à l'ONU, a déclaré que le statut juridique du Sahara occidental \"est déterminé par le droit international et les résolutions de l'ONU\". \"Cette décision montre que le régime marocain est prêt à vendre son âme pour maintenir son occupation illégale de certaines parties du Sahara occidental\", a-t-il écrit sur Twitter. Le représentant du groupe en Europe, Oubi Bchraya, a déclaré que le changement de la politique américaine \"ne changera pas un pouce de la réalité du conflit et du droit du peuple du Sahara occidental à l'autodétermination\", rapporte Reuters. Le mois dernier, le Front Polisario a déclaré que le cessez-le-feu, qui durait depuis trois décennies, avait été rompu par une opération militaire marocaine dans une zone tampon. Lire plus : Lotfi Bouchaara, l'ambassadeur du Maroc à Moscou, a déclaré à l'émission de la BBC, Focus on Africa, que le Maroc n'avait pas violé le cessez-le-feu mais que ses militaires répondaient à une provocation des combattants du Polisario qui avaient bloqué une route clé vers la Mauritanie. Le Maroc a réagi avec \"retenue\", a-t-il dit. Selon une déclaration de la Maison Blanche, jeudi, les Etats-Unis estiment qu'un Etat sahraoui indépendant n'est \"pas une option réaliste pour mettre fin au conflit et qu'une véritable autonomie sous souveraineté marocaine est la seule solution possible\". La cour royale du Maroc a déclaré que Washington ouvrirait un consulat au Sahara occidental dans le cadre de son accord avec Israël, selon Reuters. Comment l'accord affectera le Sahara occidental Analyse de Rana Jawad, correspondante de la BBC pour l'Afrique du Nord, Tunis La dernière initiative de l'administration Trump n'aura pas nécessairement un impact immédiat sur le terrain car le conflit dépasse les caprices du président américain. Cependant, le soutien de Trump à la revendication de souveraineté du Maroc sur le Sahara occidental est un fait important car il vient doucher les espoirs d'un peuple qui aspire à l'indépendance de ce territoire depuis des décennies. L'ONU est toujours mandatée pour superviser un référendum pour l'indépendance du Sahara occidental - bien que cela ne se soit pas concrétisé depuis 1991, quand elle a établi sa mission là-bas connue sous le nom de Minurso. En l'absence d'un référendum, l'impasse entre le Maroc et le Front Polisario se résume à une question de reconnaissance internationale - un nouvel État indépendant ne peut être établi sans elle. Aujourd'hui, la possibilité de créer un Sahara occidental indépendant pourrait s'être considérablement réduite - et les tensions qui se sont accumulées ces derniers mois pourraient s'aggraver."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50270117", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50262047", "doc1": "তিনি কলটি রিসিভ করলেও অপর প্রান্ত থেকে কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। মি: রুকান্ডো সে নম্বরটিতে কল করলেও কেউ রিসিভ করছিল না। রুয়ান্ডার অধিবাসী মি: রুকান্ডো ব্রিটেনের লিডসে বসবাস করেন। নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সম্পর্কে তিনি ছিলেন সচেতন। যে নম্বর থেকে তার কাছে কল এসেছিল সে নম্বরটিকে তিনি অনলাইনে সার্চ করেন। শেষ প��্যন্ত তিনি খুঁজে পান যে নম্বরটির কোড সুইডেনের। বিষয়টি তাঁর কাছে অদ্ভুত মনে হয়েছে। কিন্তু দ্রুত সেটি ভুলে যান রুকান্ডো। এরপর আরো কিছু অপরিচিত নম্বর থেকে তার কাছে কল আসতে থাকে। ফলে নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন রুকান্ডো। ফলে নতুন আরেকটি ফোন ক্রয় করেন তিনি। কিন্তু সেটি ক্রয়ের একদিনের মধ্যে তার কাছে আবারো সেই অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। মি: রুকান্ডো বিবিসিকে বলেন, \" আমি যখনই সে নম্বরটিতে ফোন করি, তখন কেউ সাড়া দেয়না।তখন আমি বুঝতে পারলাম যে কোন একটা সমস্যা আছে। কারণ, আমার মোবাইল থেকে ফাইল হারিয়ে যাচ্ছিল।\" মে মাসে তিনি সংবাদপত্রে একটি খবর দেখতে পান যে হোয়াটস্ অ্যাপ হ্যাক করা হয়েছে। তখন তিনি বুঝতে পারেন তার ক্ষেত্রে কী ঘটেছে। \"আমি আমার ফোন সেটটি পরিবর্তন করি এবং নিজের ভুল বুঝতে পারি। তারা আমার নম্বরটিকে অনুসরণ করছিল এবং ফোন কল করার মাধ্যমে প্রতিটি নতুন সেটে গোয়েন্দা সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিচ্ছিল। \" আরো পড়ুন: ফেসবুকে মিথ্যা খবর ছড়াতেই 'রাজনীতিবিদ' হচ্ছেন যিনি ইসরায়েলি সফটওয়্যার দিয়ে কারা নজরদারি চালাচ্ছে ভারতে? ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয় মি: রুকান্ডো বুঝতে পারেন যে হোয়াটস্ অ্যাপে-এর ত্রুটিকে ব্যবহার করে হ্যাকাররা প্রায় ১৪০০ ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। মি: রুকান্ডো এবং তার সহকর্মীরা এর মধ্যে রয়েছেন। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যায় যখন তিনি কানাডার টরন্টো থেকে সিটিজেন ল্যাব-এর ফোন পান। এই প্রতিষ্ঠানটি গত ছয়মাস যাবৎ ফেসবুকের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করছে হোয়াটস্ অ্যাপ হ্যাকিং-এর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। এর মাধ্যমে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। গবেষকরা বলেন, \"এই ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে সিটিজেন ল্যাব ১০০টির বেশি ঘটনা চিহ্নিত করেছে যেখানে ২০টি দেশের মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছে।\" হোয়াটস্ অ্যাপ হ্যাক করার সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে ইসরায়েল-ভিত্তিক এনএসও গ্রুপ মি: রুকান্ডো রুয়ান্ডার শাসক গোষ্ঠীর কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে যে ধরণের ব্যক্তিদের টার্গেট করা হয়েছে মি: রুকান্ডো তাদের মতোই। হোয়াটস্ অ্যাপ হ্যাক করার এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে ইসরায়েল-ভিত্তিক এনএসও গ্রুপ��� তারা বিশ্বের ২০টি দেশের সরকারের কাছে এটি বিক্রিও করেছে। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং কূটনীতিকদের উপর নজরদারীর জন্য হ্যাকাররা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। মি: রুকান্ডো বলেন, প্রথমবার হ্যাক হবার পর থেকে তার কাছে আর কোন ফোন আসেনি। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তাকে এবং তার পরিবারকে আতংকিত করেছে। \"সত্যি বলতে এই সংস্থাটি হ্যাকিং-এর বিষয়টি নিশ্চিত করার আগেই আমরা আতংকিত হয়েছিলাম। মনে হচ্ছে দুই সপ্তাহ ধরে তারা আমার ফোনে আড়ি পেতেছে এবং আমার সবকিছুতে তারা দেখেছে, \" বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। \" সে সময়ের মধ্যে শুধু আমার কর্মকাণ্ড নয়, আমার পুরো ই-মেইল ইতিহাস এবং আমার সব ফোন নম্বর তারা দেখেছে। সবকিছুই তারা দেখেছে - কম্পিউটার, ফোন কোন কিছুই নিরাপদ নয়। আমরা যখন কথা বলি তখনও তারা সবকিছু শুনতে পায়। আমি এখনো নিরাপদ বোধ করিনা।\" মি: রুকান্ডো ২০০৫ সালে রুয়ান্ডা ছেড়ে আসেন যখন সরকারের সমালোচকদের আটক করে জেলে ঢোকানো হচ্ছিল। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছে হোয়াটস্ অ্যাপে-এর মালিক ফেসবুক। কিন্তু এনএসও গ্রুপ বলছে তারা কোন অন্যায় করেনি। আদালতে দাখিল করা কাগজপত্রে ফেসবুক অভিযোগ করেছে হোয়াটস্ অ্যাপ-এর অজানা ত্রুটিকে কাজে লাগিয়েছে এনএসও গ্রুপ। পৃথিবীর ১৮০টি দেশের ১.৫ বিলিয়ন মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপটি জনপ্রিয় হবার মূল কারণ ছিল ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তার জন্য। একজনের কাছ থেকে যখন অপরজনের কাছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বার্তা যায়, তখন সেটিকে বাধাগ্রস্ত করলেও পড়া সম্ভব হয়না। প্যাগাসাস নামের এই শক্তিশালী সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে এনএসও গ্রুপ। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন থেকে দূর হতে গোপনে তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায়। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা ফোন সেটের সকল কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে সতর্ক থাকতে হবে এর আগের ঘটনাগুলোতে দেখা গেছে, একটি ওয়েব লিংকের মাধ্যমে গোয়েন্দা সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে ব্যবহারকারীদের ফোনসেটে তাদের অজ্ঞাতে এই সফটওয়্যারটি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এনএসও গ্রুপ বিভিন্ন দেশে রেজিস��ট্রিকৃত ফোন নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটস্ অ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলেছে। যেসব দেশের ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাইপ্রাস, ইসরায়েল, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডস। এরপর এপ্রিল এবং মে মাসে সে গ্রুপটি তাদের টার্গেট করা ব্যক্তিদের হোয়াটস্ অ্যাপ-এ ফোন করার মাধ্যমে সেগুলোকে হ্যাক করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আদালতে যে অভিযোগ দাখিল করেছে সেখানে বলা হয়েছে, হোয়াটস্ অ্যাপ-এর ভেতরে থাকা কারিগরি বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবার জন্য এনএসও গ্রুপ এমন এক ধরণের কোড উদ্ভাবন করেছে যেটি ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ-এ ফোন করলে মনে হবে যেন এটি সত্যিই অন্য আরেকটি হোয়াটস্ অ্যাপ নম্বর থেকে আসছে। এই কলের মাধ্যমে হ্যাকাররা তাদের টার্গেট করা ফোন সেটটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। যাদের টার্গেট করা হচ্ছে বিষয়টি তাদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা থেকে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা শুধু লক্ষ্য করে যে তাদের হোয়াটস্ অ্যাপ কল লিস্টে কিছু রহস্যজনক মিসডকল জমা হয়েছে। এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির উপর নজরদারীর জন্য তার হত্যাকারীদের স্পাইওয়্যার সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে এনএসও গ্রুপ এটি অস্বীকার করে বলেছে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে তারা আদালতে লড়বে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, \"এনএসও গ্রুপের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া যাতে তারা সন্ত্রাস এবং গুরুতর অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে \" বিবিসি বাংলার আরো খবর পড়ুন: ইসরায়েলি সফটওয়্যার দিয়ে কাররা নজরদারি চালাচ্ছে ভারতে? সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে, পক্ষে বিপক্ষে যতো কথা সরকারি খাতে বেতন বেড়েছে, কিন্তু দুর্নীতি কমেছে কি?", "doc2": "Faustin Rukundo, victime de Whatsapp Il a répondu, mais la ligne était silencieuse et puis elle s'est coupée. Il a essayé de rappeler, mais personne n'a répondu. Il ne le savait pas mais son téléphone avait été compromis. En tant qu'exilé rwandais vivant à Leeds, M. Rukundo était déjà conscient de sa vie privée. Il a cherché le numéro en ligne et a trouvé que l'indicatif venait de Suède. Étrange, se dit-il. Mais il l'a vite oublié. Puis le numéro a encore une fois appelé. Encore une fois, personne n'a répondu. Il a également manqué des appels provenant d'autres numéros qu'il ne reconnaissait pas et il a commencé à s'inquiéter pour la sécurité de sa famille, alors il a acheté un nouveau téléphone. En moins d'un jour, le numéro inconnu a rappelé. Lire aussi: \"J'ai essayé de répondre et ils ont raccroché avant que j'entende la moindre voix\", a déclaré M. Rukundo à la BBC. \"Chaque fois que je rappelais, personne ne répondait. J'ai réalisé que quelque chose n'allait pas quand j'ai commencé à voir des fichiers manquants dans le téléphone. \"J'ai parlé à mes collègues du Congrès national rwandais et ils ont eux aussi vécu des expériences similaires. Ils recevaient des appels manqués des mêmes numéros que moi.\" Cibler des journalistes et des dissidents Le Congrès national rwandais est un groupe qui s'oppose au régime rwandais. Ce n'est qu'en mai, lorsque M. Rukundo a lu les rapports selon lesquels WhatsApp avait été piraté, qu'il a compris ce qui s'était passé. J'ai d'abord lu l'histoire du piratage de WhatsApp à la BBC et je me suis dit : \" Wow, ça pourrait expliquer ce qui m'est arrivé \", a-t-il dit. \"J'ai changé de téléphone et réalisé mon erreur. Ils suivaient mon numéro et mettaient le logiciel espion sur chaque nouvel appareil en appelant le même numéro.\" Les victimes n'avaient pas besoin de répondre à l'appel Pendant des mois, M. Rukundo a été convaincu que lui et ses collègues faisaient partie des quelque 1 400 personnes ciblées par les pirates qui ont exploité la faille dans WhatsApp. Mais ce n'est qu'à la suite d'un appel du Citizen Lab de Toronto qu'il l'a confirmé cette semaine. Depuis six mois, l'organisation travaille avec Facebook pour enquêter sur le piratage et découvrir qui a été touché. Les chercheurs disent : \"dans le cadre de notre enquête sur cet incident, Citizen Lab a identifié plus de 100 cas d'agressions contre des défenseurs des droits humains et des journalistes dans au moins 20 pays à travers le monde. Le profil de M. Rukundo en tant que grand critique du régime rwandais est cohérent avec le type de personnes qui ont été la cible de ces logiciels espions. Il aurait été conçu et vendu par le groupe NSO basé en Israël à des gouvernements du monde entier. Des pirates informatiques ont utilisé le logiciel pour espionner des journalistes, des militants des droits humains, des dissidents politiques et des diplomates. M. Rukundo dit qu'il n'a reçu aucun appel depuis le piratage initial, mais l'expérience l'a rendu paranoïaque et effrayé, ainsi que sa famille. \"Honnêtement, avant même qu'ils ne le confirment, nous étions terrifiés. On dirait qu'ils n'ont mis mon téléphone sur écoute que pendant environ deux semaines, mais ils avaient accès à tout\", a-t-il déclaré à la BBC. \"Non seulement mon activité durant cette période, mais aussi toute mon histoire d'email et tous mes contacts et connexions. Tout est surveillé, les ordinateurs, nos téléphones, rien n'est sûr. Même quand on parle, ils pourraient écouter. Je ne me sens toujours pas en sécurité.\" M. Rukundo a fui le Rwanda en 2005 lorsque des critiques du gouvernement ont été arrêtés et emprisonnés. Il dit qu'il s'est battu pour faire libérer sa femme après son enlèvement et sa détention pendant deux mois lors d'une visite familiale en 2007. Facebook, le propriétaire de WhatsApp, tente de poursuivre le groupe NSO. Le groupe des NSO nie tout acte répréhensible. Dans des documents judiciaires, Facebook accuse l'entreprise d'exploiter une vulnérabilité alors inconnue dans WhatsApp. L'application est utilisée par environ 1,5 milliard de personnes dans 180 pays. Le service est populaire pour son cryptage de bout en bout, ce qui signifie que les messages sont brouillés lorsqu'ils voyagent sur Internet, ce qui les rend illisibles s'ils sont interceptés. Le dépôt auprès de la US District Court of Northern California décrit comment le logiciel espion aurait été installé. Comment se fait le piratage Le puissant logiciel connu sous le nom de Pegasus est un produit du groupe NSO qui peut extraire à distance et secrètement des informations précieuses des appareils mobiles, en partageant toutes les activités téléphoniques, y compris les communications et les données de localisation avec le pirate. Lors de précédents cas de piratage, les victimes ont été amenées à télécharger le logiciel espion en cliquant sur des liens Web piégés. Mais avec le piratage de WhatsApp, Facebook prétend qu'il a été installé sur les téléphones des victimes sans qu'elles ne prennent aucune mesure. La société indique qu'entre janvier 2018 et mai 2019, le groupe NSO a créé des comptes WhatsApp en utilisant des numéros de téléphone enregistrés dans différents pays, dont Chypre, Israël, Brésil, Indonésie, Suède et les Pays-Bas. Puis, en avril et en mai, les victimes ont été attaquées par un appel téléphonique sur WhatsApp, affirme-t-on. Pour éviter les restrictions techniques intégrées aux serveurs de signalisation WhatsApp, les défendeurs ont formaté les messages d'initiation d'appel contenant du code malveillant pour qu'ils apparaissent comme un appel légitime et ont dissimulé le code dans les paramètres d'appel. \"Déguiser le code malveillant en paramètres d'appel permettait aux accusés de le livrer à l'appareil cible et faisait apparaître le code malveillant comme s'il provenait des Serveurs de signalisation WhatsApp.\" Les victimes ignoraient totalement qu'elles avaient été mises sur écoute. Dans certains cas, la seule chose qu'ils ont remarquée était les mystérieux appels manqués dans les logs WhatsApp. Le document indique que Facebook : Le groupe NSO a été accusé d'avoir fourni le logiciel espion qui a permis aux assassins du journaliste Jamal Khashoggi de le traquer. Le groupe des NSO nie toute implication dans cet incident et affirme qu'il combattra ces dernières allégations. \"Dans les termes les plus fermes possibles, nous contestons les allégations d'aujourd'hui et nous les combattrons vigoureusement\", a déclaré la société dans une déclaration à la BBC. \"Le seul but du groupe NSO est de fournir une technologie aux agences gouvernementales de renseignement et d'application de la loi pour les aider à combattre le terrorisme et les crimes graves.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-37784541", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54105825", "doc1": "আফ্রিকার হাতির সংখ্যা নাটকীয় ভাবে কমে যাচ্ছে পরিবেশবাদী গ্রুপ ডব্লিউডব্লিউএফ এবং যুলোজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন বলছে, এই ধারা চলতে থাকলে, ২০২০ সাল নাগাদ পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণী হারিয়ে যাবে। বন ধ্বংস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের অতিরিক্ত শিকার বা মাছ ধরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে এজন্য দায়ী করেছেন গবেষকরা। গত ৪০ বছরে বিশ্বে বন্য প্রাণী কমেছে ৫৮%। পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে যেসব প্রাণী লেক, নদী ও জলাভূমিতে বাস করে তারা বেশি ক্ষতির মুখে পরছে। যেসব প্রাণী লেক, নদী ও জলাভূমিতে বাস করে তারা বেশি ক্ষতির মুখে পরছে। যদিও যে পদ্ধতিতে এই হিসেব বের করা হয়েছে সেটা নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। দি লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্ট প্রতি দুই বছর পর পর প্রকাশিত হয়, এর উদ্দেশ্য বিশ্বের বন্যপ্রাণীদের অবস্থান তুলে ধরা । ২০১৪ সালে সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল গত ৪০ বছরে বন্যপ্রাণী অর্ধেকে নেমে এসেছে। পরিবেশবাদী গ্রুপ ডব্লিউডব্লিউএফ একজন গবেষক ড.বেরেট বলেছেন কিছু কিছু গ্রুপের প্রাণীর অবস্থা অন্যান্যদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি খারাপ। এদের মধ্যে আফ্রিকার হাতি ও হাঙ্গরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।", "doc2": "La faune subit la pression de la perte d'habitat, y compris la déforestation Le rapport indique que ce \"déclin catastrophique\" ne montre aucun signe de ralentissement. Et, il avertit que la nature est détruite par les humains à un rythme jamais vu auparavant. La faune est \"en chute libre\" alors que nous brûlons des forêts, sur-pêchons nos mers et détruisons des zones sauvages, déclare Tanya Steele, directrice générale du WWF. \"Nous détruisons notre monde - le seul endroit que nous appelons chez nous - risquant notre santé, notre sécurité et notre survie ici sur Terre. Maintenant, la nature nous envoie un SOS désespéré et le temps presse\", dit-elle. Que signifient ces Chiffres? Le rapport a examiné des milliers d'espèces sauvages différentes surveillées par des scientifiques dans des habitats à travers le monde. Ils ont enregistré une baisse moyenne de 68% dans plus de 20 000 populations de mammifères, d'oiseaux, d'amphibiens, de reptiles et de poissons depuis 1970. Lire aussi : Le déclin était la preuve claire des dommages que l'activité humaine cause au monde naturel, a déclaré le Dr Andrew Terry, directeur de la conservation à la Zoological Society of London (ZSL), qui fournit les données. \"Si rien ne change, les populations d'animaux continueront sans aucun doute à baisser, conduisant la faune à l'extinction et menaçant l'intégrité des écosystèmes dont nous dépendons\", ajoute-t-il. Le rapport indique que la pandémie de Covid-19 est un rappel brutal de la façon dont la nature et les humains sont étroitement liés. Les facteurs soupçonnés de conduire à l'émergence de pandémies - notamment la perte d'habitat et l'utilisation et le commerce de la faune - sont également quelques-uns des moteurs du déclin de la faune. De nouvelles preuves de modélisation suggèrent que nous pouvons arrêter et même inverser la perte d'habitat et la déforestation si nous prenons des mesures de conservation urgentes et changeons la façon dont nous produisons et consommons les aliments. Le présentateur de télévision britannique et naturaliste Sir David Attenborough soutient que l'Anthropocène, l'ère géologique au cours de laquelle l'activité humaine est prépondérante, pourrait être le moment où nous atteignons un équilibre avec le monde naturel et devenons les gardiens de notre planète. \"Pour ce faire, il faudra des changements systémiques dans la façon dont nous produisons la nourriture, créons de l'énergie, gérons nos océans et utilisons du matériel\", explique-t-il. \"Mais par-dessus tout, cela nécessitera un changement de perspective. Un changement de la façon dont nous percevons la nature comme quelque chose qui est facultatif ou\" agréable à avoir\" pour la considérer comme le plus grand allié que nous ayons pour rétablir l'équilibre dans notre monde.\" Sir David présente un nouveau documentaire sur l'extinction qui sera diffusé sur BBC One au Royaume-Uni ce dimanche 13 septembre à 20h00 BST. Lire aussi : Les gorilles des montagnes de la RDC sont menacées par la chasse illégale Comment mesurer le déclin de la nature? Mesurer la variété de toute vie sur Terre est complexe, avec un certain nombre d'outils différents. Pris ensemble, ils fournissent la preuve que la biodiversité est détruite à un rythme sans précédent dans l'histoire de l'humanité. Ce rapport particulier utilise un indice indiquant si les populations d'animaux sauvages augmentent ou diminuent. Il ne nous dit pas le nombre d'espèces perdues ou en voie d'extinction. Les baisses les plus importantes concernent les zones tropicales. La baisse de 94% pour l'Amérique latine et les Caraïbes est la plus importante du monde, en raison d'un cocktail de menaces pesant sur les reptiles, les amphibiens et les oiseaux. \"Ce rapport examine la situation mondiale et la nécessité d'agir rapidement pour commencer à inverser ces tendances\", informe Louise McRae de ZSL. Les données ont été utilisées pour faire un travail de modélisation afin d'examiner ce qui pourrait être nécessaire pour inverser le déclin. Une étude publiée dans la revue Natures suggère que pour inverser la tendance, nous devons transformer la façon dont nous produisons et consommons les aliments, notamment en réduisant le gaspillage alimentaire et en consommant des aliments avec un impact environnemental moindre. Le perroquet gris d'Afrique est en voie de disparition en raison de la perte d'habitat et du commerce des espèces sauvages Le professeur Dame Georgina Mace de l'UCL a déclaré que les actions de conservation à elles seules ne seraient pas suffisantes pour \"fléchir la courbe de la perte de biodiversité\". \"Cela exigera des actions dans d'autres secteurs, et nous montrons ici que le système alimentaire sera particulièrement important, à la fois le secteur agricole du côté de l'offre et des consommateurs du côté de la demande\", a-t-elle déclaré.. Que nous disent les autres données sur les pertes enregistrées par la nature? Les données d'extinction sont compilées par l'Union internationale pour la conservation de la nature (UICN), qui a évalué plus de 100 000 espèces de plantes et d'animaux, dont plus de 32 000 espèces menacées d'extinction. Les éléphants sont menacés par le braconnage et la perte d'habitat En 2019, un groupe intergouvernemental de scientifiques a conclu qu'un million d'espèces (500 000 animaux et plantes et 500 000 insectes) sont menacées d'extinction, certaines d'ici des décennies. Lire aussi : Kenya : le rhinocéros blanc en voie d'extinction Le rapport du WWF est l'une des nombreuses évaluations de l'état de la nature publiées et d'autres le seront dans les semaines et les mois à venir en vue d'un grand sommet prévu l'année prochaine. L'ONU dévoilera mardi prochain sa dernière évaluation de l'état de la nature dans le monde. Suivez Helen sur Twitter."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2015/01/150129_qk_ebola_scientist", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region/2015/01/150129_ebola_mutation", "doc1": "প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কয়েক’শ রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখছেন। তারা এখন বের করার চেষ্টা করছেন, ইবোলা আরও সংক্রামক হয়ে উঠছে কিনা এবং রোগটির পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় তারা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন কিনা। সেইসাথে সম্ভাব্য টিকাসহ বিভিন্ন ওষুধের ���্ষেত্রে রোগটির প্রতিক্রিয়া কি হয়, তাও গবেষণা করে দেখছেন তারা। পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সেনেগাল, গিনি এবং লাইবেরিয়ায় এ পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।", "doc2": "Les chercheurs utilisent une méthode appelée séquençage génétique pour suivre les changements dans la composition génétique du virus Des chercheurs de l'Institut Pasteur de Paris sont en train d’analyser des centaines d'échantillons en provenance d'Afrique de l'Ouest pour déterminer si le virus est plus contagieux. Quelque 600 autres seront envoyés aux laboratoires dans les mois à venir. Plus de 22 000 personnes ont été infectées et au moins 8 795 sont morts en Guinée, en Sierra Leone et au Liberia. Le Dr Anavaj Sakuntabhai de l'Institut Pasteur affirme que jusqu'à présent, il n’a pas été possible de déterminer de manière exacte comment le virus a muté. \"Nous devons savoir comment le virus a changé pour être à jour face à cet ennemi \", a-t-elle ajouté. Taux élevé de mutation Il ne s’agit toutefois pas d’un cas unique. Comme la plupart des virus à ARN, notamment celui de la grippe, la fièvre hémorragique Ebola a un taux élevé de mutation. Cela signifie que le virus peut s’adapter et potentiellement devenir plus contagieux. Une étude similaire réalisée en Sierra Leone a montré que le virus Ebola avait muté considérablement dans les 24 premiers jours de l'épidémie, selon l'Organisation mondiale de la santé (OMS). Cette étude permettra également d’éclairer d’autres points, notamment concernant les raisons pour lesquelles certaines personnes survivent au virus et d'autres pas. Le taux de survie de l'épidémie actuelle est d'environ 40 %. Les chercheurs de l'Institut Pasteur sont par ailleurs en train de développer deux vaccins qui, espèrent-ils, seront testés sur des humains d'ici la fin de l’année."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55250879", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55247073", "doc1": "চ্যাঙই-৫ অভিযানে কাজ করা কয়েকজন কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ওয়েনচ্যাং স্পেসক্রাফট উৎক্ষেপণ এলাকায় যারা স্পেস কমান্ডার হিসেবে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট ঝুও চেংইয়ু। কিন্তু সেখানে তাকে শ্রদ্ধা করে সবাই ডাকেন 'বিগ সিস্টার‌' বলে। চ্যাঙই-৫ চন্দ্র মিশন গত সাত বছরে চীনের তৃতীয় সফল অভিযান যার মাধ্যমে তারা সফলভাবে চাঁদের বুকে কোন নভোযান নামিয়েছে। ঝুও চেংইয়ু এই অভিযানে 'রকেট-সংযোগ‌ সিস্টেমের‌' দায়িত্বে ছিলেন, যাকে পুরো অভিযানের সাফল্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে ঝুও চেংইয়ুকে নিয়ে চলছে মাতামাতি। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে তাকে ২৩শে নভেম্বর চ্যাঙই-৫ অভিযানের সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ নারীদের একজন বলে বর্ণনা করার পর এটা শুরু হয়। যেহেতু তার বয়স খুব কম, তাই চীনের জনগণের মাঝে তাকে নিয়ে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মেধা ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করা হচ্ছে। তাকে চীনের গর্ব বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। কয়েকজন ঝুও চেংইয়ুর তুলনায় তাদের নিজের জীবনে তারা কি করতে পেরেছেন, তা নিয়ে রঙ্গ করেছেন। ঝুও চেংইয়ু চীনের গুইঝু প্রদেশের। ত��কে নিয়ে যে এত মাতামাতি চলছে, এটা তার ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি বলেই মনে হচ্ছে। স্থানীয় একটি নিউজ সাইটের খবর অনুযায়ী, সাক্ষাৎকারের জন্য অনেক অনুরোধ জানানো হলেও মিজ ঝুও তাতে রাজি হননি। তার কাজের পথে এই খ্যাতি কোন বাধা হয়ে দাঁড়াক সেটা তিনি চান না। চীনে চাঁদের এক দেবীর নামে এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে চ্যাঙই-৫। এই চাঁদের বুক থেকে পাথর এবং মাটি সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠাবে, যাতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চাঁদের গঠন সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারেন। আরও পড়ুন: চাঁদের পৃষ্ঠে পতাকা স্থাপন করলো চীন চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান চাঁদ থেকে পাথর-মাটি তুলে আনছে চীনা রকেট চ্যাঙই-৫ অভিযানের মাধ্যমে চীন মহাকাশে নিজেদের এক পরাশক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে যদি এই অভিযান সফল হয়, তাহলে সেটি হবে গত ৪০ বছরে এ ধরণের প্রথম ঘটনা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পর চীন হবে তৃতীয় দেশ যারা এরকম অভিযানে সফল হলো। বেইজিং এখন একটি 'স্পেস সুপারপাওয়ার' বা মহাকাশের পরাশক্তি হতে চাইছে। তাদের চন্দ্র অভিযান সেই উচ্চাভিলাষ পূরণের লক্ষ্যেই করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এটিকে তার দেশের 'স্পেস-ড্রিম' বলে বর্ণনা করেছেন। এটিকে চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে। চীন যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় শক্তি হয়ে উঠছে, মহাকাশ অভিযান দিয়ে তারা সেটা দেখাতে চাইছে। তারা বলতে চাইছে, বিশ্বমঞ্চে তাদেরকে এখন এক বড় শক্তি হিসেবে সমীহ করে চলার সময় এসেছে। চীনের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী অধ্যাপক আউইয়াং জিউয়ান দেশটির পিপলস ডেইলি পত্রিকাকে ২০০৬ সালেই বলেছিলেন, \"চন্দ্র অভিযান হচ্ছে একটি দেশের পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ক্ষমতার একটি প্রতিফলন।\" গত বছর চীন চাঁদের উল্টো পিঠে একটি রোবটিক মহাকাশযান নামিয়েছিল। চাঁদের উল্টোপিঠে মহাকাশযান নামানোর ক্ষেত্রে তারাই প্রথম সাফল্য দেখিয়েছে। আগামী কয়েক দশকে চীন চাঁদে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনেরও পরিকল্পনা করছে। তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হচ্ছে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো। ওয়েনচ্যাং উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে চ্যাঙই-৫ উৎক্ষেপনের আগের ছবি। বিবিসির চীন বিষয়ক মিডিয়া বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন বলছেন, যে পৌরাণিক চরিত্রের নামে এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে, তার গল��প বেশিরভাগ চীনাই জানে। গল্পটি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটের গল্পের চেয়ে বেশি আলাদা কিছু নয়। এক নারী অমরত্বের ঔষধ পান করেছিল, কিন্তু নিজের স্বামীর জন্য কোন ঔষধ রেখে দিতে ভুলে গিয়েছিল। অমরত্বের পর চ্যাঙই চাঁদে উড়ে যায়, যাতে তার স্বামীর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কাছাকাছি থাকতে পারে। চীনে প্রতি বছর চন্দ্র উৎসবের সময় এই গল্প শিশুদের বলা হয়। কাজেই চ্যাঙই বলার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠে চাঁদের দেবীর রোম্যান্টিক ছবি। চীন বিষয়ক মিডিয়া বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন বলছেন, এজন্যে চীনের চন্দ্র অভিযানের জন্য এক বলিষ্ঠ নারী চরিত্রের দরকার ছিল। একারণেই ২৪ বছর বয়সী ঝুও চেংইয়ুর ছবি সব সরকারী প্রচারমাধ্যমে এত ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। তাকে বর্ণনা করা হয়েছে মহাকাশে চীনের সামনের কাতারের সৈনিক বলে। চীনে এখন ক্রমাগত এরকম বলিষ্ঠ নারী চরিত্রকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। চীনের শীর্ষ নেতৃত্বে পুরুষদের খুব বেশি প্রাধান্য। গত নভেম্বরে চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা পাঠকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল, এ বছর যে নারীদের যেসব অর্জন, সে সম্পর্কে মতামত জানাতে। সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানী চেন ওয়েই, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এবং মার্শাল ফাইটার ঝাঙ ওয়েইলির নাম এসেছিল। তবে এখনো চীনে নারীর ভূমিকার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকে। গত সেপ্টেম্বরে চীনে কোভিড-নাইনটিনে নারীদের ভূমিকাকে এক টেলিভিশন নাটকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছিল, তখন এটি ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। বলা হয়েছিল, এই নাটকে নারীর ভূমিকাকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, তা খুবই নারী-বিদ্বেষী।", "doc2": "Mme Zhou était le plus jeune commandant du programme d'exploration de la Lune de Chang'e-5 Bien qu'elle soit le plus jeune commandant du site de lancement du vaisseau spatial Wenchang, Zhou Chengyu est connue au travail comme \"Big Sister\" en signe de respect. La mission Chang'e-5 est le troisième alunissage réussi par la Chine en sept ans. Mme Zhou était responsable du système de connecteurs de la fusée - décrit comme un rôle essentiel. Mme Zhou a été décrite dans les médias d'État comme une \"grande sœur\" que les jeunes Chinois peuvent admirer La jeune astronaute fait l'actualité sur Weibo depuis que les médias d'État chinois l'ont présentée comme l'une des femmes ayant participé au lancement réussi de la sonde lunaire Chang'e-5 le 23 novembre. Son histoire, en particulier, a trouvé un écho dans le public en raison de son jeune âge. Les utilisateurs des médias sociaux ont célébré son \"génie\" et l'ont qualifiée de \"source de fierté\" pour le pays. Plusieurs personnes ont plaisanté sur leurs propres réalisations, en faisant remarquer à quel point elles étaient en retard dans la vie en comparaison à elle. Lire aussi : L'énorme intérêt porté à la native de la province du Guizhou ne semble pas avoir eu beaucoup d'effet sur elle cependant. Selon le site d'information Duocai Guizhou Net, Mme Zhou a décliné des demandes répétées d'interviews car elle ne souhaite pas que la célébrité se mette en travers de son travail. L'objectif du Chang'e-5 - nommé d'après la déesse chinoise de la lune - est de rassembler les roches et le sol lunaires pour aider les scientifiques à en apprendre davantage sur les formations de la lune. Chang'e-5 a atterri dans le nord-ouest de la lune, y plantant le drapeau chinois comme on le voit sur la droite. En cas de succès, ce sera la première fois en plus de 40 ans que des échantillons lunaires seront ramenés sur Terre, et cela fera de la Chine le troisième pays à le faire après les États-Unis et l'Union soviétique. Cette mission s'inscrit dans la volonté de Pékin de devenir une superpuissance spatiale, les médias d'État chinois présentant le \"rêve spatial\" - comme l'appelle le président Xi Jinping - comme une étape sur la voie du \"rajeunissement national\". Pour la Chine, l'exploration spatiale est considérée comme un moyen de montrer sa puissance technologique croissante, ainsi que de se montrer comme une force qu'il faut compter sur la scène mondiale. Watch the moment the Chang'e-5 mission launches Le professeur Ouyang Ziyuan, l'un des meilleurs scientifiques du pays l'a déclaré au journal officiel chinois, People's Daily en 2006 : \"l'exploration lunaire est le reflet de la puissance nationale globale d'un pays.\" L'année dernière, la Chine est devenue le premier pays à réussir l'atterrissage d'un vaisseau spatial robotisé sur la face cachée de la Lune. Dans les prochaines décennies, elle prévoit de construire une station de recherche sur la Lune et d'envoyer des gens sur Mars. Kerry Allen, analyste des médias en Chine La plupart des Chinois connaissent l'histoire de la mythologique Chang'e, la déesse chinoise de la lune. C'est une histoire qui n'est pas très différente de celle de Roméo et Juliette - l'histoire d'une femme qui boit une potion d'immortalité, en laissant accidentellement une potion à son mari, et qui, en apesanteur, vole vers la lune pour rester près de lui jusqu'à sa mort. Elle est racontée chaque année pendant le festival de la mi-automne/lune en Chine, et les gens ne peuvent donc pas entendre le mot \"Chang'e\" sans évoquer des images romantiques d'une déesse de la lune. Les photos de Zhou Chengyu, 24 ans, ont fait le tour des médias d'État en Chine C'est pourquoi la mission chinoise sur la lune appelait à une forte présence féminine. C'est pourquoi les photos de Zhou Chengyu, 24 ans, ont été diffusées dans tous les médias d'État, avec des commentaires sur le fait qu'elle est un \"soldat de première ligne dans le domaine de l'aérospatiale\" et une \"grande sœur\" que les jeunes Chinois peuvent admirer. Vol autour de la Lune à la fin de 2018. La Chine s'efforce de plus en plus de mettre en valeur les fortes personnalités féminines du pays. Le tête du pays est extrêmement dominée par les hommes, mais en novembre, le journal national Global Times a invité les internautes à se prononcer sur les réalisations de l'année de femmes comme la scientifique médicale Chen Wei, la porte-parole du ministère des affaires étrangères, Hua Chunying, et la combattante de l'UFC, Zhang Weili. Mais beaucoup en Chine ont le sentiment que le rôle des femmes dans le pays est encore sous-estimé dans de nombreux secteurs. La question a fait couler beaucoup d'encre en septembre, lorsqu'un feuilleton télévisé mettant en avant le rôle des femmes dans le combat contre Covid-19 en Chine a été largement considéré comme sexiste. Pékin lance un vaisseau dans l'espace avec deux astronautes"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39612652", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43856890", "doc1": "আনুষ্ঠানিকভাবে এমা মোরানো ১৮০০-র শতকে জন্ম নেয়া শেষ ব্যক্তি ১৮৯৯ সালে ইটালির পিডমন্ট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমা মোরানো। নথিপত্র অনুযায়ী ১৯০০-র আগে জন্ম নেয়া জীবিত মানুষদের মধ্যে তিনিই ছিলেন শেষ ব্যক্তি। তিনি নিজের দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে তার জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং তার দিনে তিনটি ডিম খাওয়ার অভ্যাসের কথা বলেছিলেন। তিনটি ডিমের মধ্যে দুটিই তিনি কাঁচা খেতেন। মিজ মোরানো ছিলেন আট ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়, যাদের সবাই তার আগেই মারা গেছেন। তিনি উত্তরাঞ্চলীয় ভারবানিয়া শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান। তিনি যে জীবদ্দশায় শুধু তিনটি শ���ক দেখেছেন তাই নয়, নির্যাতনমূলক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন, তার একমাত্র শিশুপুত্রকেও হারাতে হয়েছে, দুটি বিশ্বযুদ্ধ তিনি দেখেছেন এবং ৯০ বার ইটালির সরকার পরিবর্তন হতে দেখেছেন। \"ভাল জিন এবং ডিম\" মিজ মোরানো স্বীকার করেছেন যে তার দীর্ঘায়ুর একটি বড় কারণ তার বংশগতি বা জিনগত বৈশিষ্ট্য। তার মাও ৯১ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং তার কয়েকজন বোনও ১০০ বছর পার করেছিলেন। তবে একইসাথে তার দীর্ঘায়ুর পেছনে তার অস্বাভাবিক একটি খাদ্যাভ্যাসও রয়েছে- দিনে তিনটি ডিম, তার মধ্যে দুটি কাঁচা এবং ৯০ বছরের বেশি সময় যাবত প্রতিদিন তিনি এই খাবার খেয়ে আসছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এক চিকিৎসক তার শরীরে অ্যানিমিয়া শণাক্ত করলে তরুণ বয়সে তিনি এই খাদ্যাভ্যাস শুরু করেন। তবে সম্প্রতি তিনি পরিমাণ কমিয়ে দুটো ডিম খাচ্ছিলেন, সাথে কিছু বিস্কিট। নিজের তরুণ বয়সের ছবির সাথে মিজ মোরানো তার চিকিৎসক কার্লো বাভা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মিজ মোরানো সবজি বা ফল খুবই কম খেতেন। ২৭ বছর যাবত তিনি মিজ মোরানোর চিকিৎসা করেন। \"আমি যখন প্রথম তাকে দেখি তখন তিনি দিনে তিনটি ডিম খেতেন, দুটি কাঁচা এবং বিকেলে একটি অমলেট। আর রাতে খেতেন মুরগির মাংস\"। \"আমি কারো আধিপত্য মেনে নেইনি\" মিজ মোরানো তার দীর্ঘায়ুর পেছনে ১৯৩৮ সালে তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে মনে করেন। এর এক বছর আগে তার ৬ মাস বয়সী শিশুপুত্র মারা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তার বিবাহিত জীবন কখনোই ভালো ছিল না। তিনি যেই ছেলেকে ভালোবাসতেন, সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এবং তার অন্য কাউকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছেও ছিল না। ১১২ বছর বয়সে ইটালির লা স্টাম্পা পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, বাধ্য হয়েই তাকে বিয়ে করতে হয়েছিল। \"সে আমাকে বলেছিল, আমাকে বিয়ে কর নাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো\"। ১১৭ তম জন্মদিনের উৎসবে শেষপর্যন্ত তিনি আর সহ্য করতে পারেননি এবং ১৯৩৮ সালে স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান। যদিও তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেননি এবং ১৯৭৮ সালে তার স্বামী মারা যান। মিজ মোরানো ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করে গেছেন এবং আর কখনো বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। \"কারো আধিপত্য আমি মেনে নিতে চাইনি\" নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন। মাত্র কয়েক বছর আগে তার দেখ���ালের জন্য পূর্ণকালীন একজন সাহায্যকারী নেন তিনি। গত ২০ বছর যাবত তিনি তার দুই কক্ষের ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরও হননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেরন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ এখন জ্যামাইকার ভায়োলেট ব্রাউন, যার জন্ম ১৯০০ সালের ১০ই মার্চ। বিবিসি বাংলার আরও খবর: তুরস্কে গণভোট: কী পরিবর্তন আনতে চান এরদোয়ান? উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ ফেসবুক ব্যবহারে সারা পৃথিবীতে দু'নম্বরে ঢাকা", "doc2": "La Japonaise Nabi Tajima est décédée samedi 21 avril 2018 à l'âge de 117 ans. Selon les responsables de l'hôpital de l'île de Kikaijima, dans le sud-ouest du Japon, Nabi Tajima est née en août 1900. Il a vécu 117 ans et 259 jours. Selon le Guinness des records, elle était la doyenne de l'humanité après le décès de la Jamaïcaine Violet Brown, le 15 septembre dernier. Le Guiness avait considéré le Japonais Masazo Nonaka, âgé de 112 ans, comme l'homme le plus âgé du monde."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52392799", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-52503073", "doc1": "ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ আসন্ন বসন্তকাল ও গ্রীষ্মকালে মানুষকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। ভিটামিন ডি খুব সহজেই আমরা গ্রহণ করতে পারি। শরীরে রোদ লাগলে আমাদের ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করে। সূর্যালোক, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান আমাদের শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচায় - যা মহামারি পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজনীয়। কী পরামর্শ দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ? যুক্তরাজ্যে শীতকালে (অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত) মানুষকে দিনে অন্তত ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি গ্রহণ করার উপদেশ দেয়া হয়। আর যদি যথেষ্ট সময় ধরে সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসা হয়, তাহলে সারা বছরই ১০ মাইক্রোগ্রাম করে ভিটামিন ডি খেতে বলা হয়। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, করোনাভাইরাসে লকডাউনের সময় মানুষকে ঘরে থাকতে বলার কারণে তারা সূর্যালোকের সংস্পর্শ বঞ্চিত এবং ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি বঞ্চিত হতে পারে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ সারা বছর ভিটামিন ডি গ্রহণ করার উপদেশ দিয়ে থাকে, যদি: আবার অপেক্ষাকৃত কৃষ্ণবর্ণের মানুষের ত্বকের পিগনেন্ট মেলানিন সূর্য থেকে যথেষ্ট পরিমাণ রশ্মি শোষণ করতে দেয় না, যার ফলে ত্বক প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের সরকারও একই ধরণের উপদেশ দিয়েছে তাদের নাগরিকদের। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাই��াস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? অভ্যন্তরীন জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ দূর করতে পারে ভিটামিন ডি কেন ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়? সবল হাড়, দাঁত ও পেশীর জন্য ভিটামিন ডি দরকার হয়। ভিটামিন ডি'র অভাবে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের হাড়ের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিছু গবেষণায় ধারণা করা হয় যে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকলে সাধারণ সর্দিজ্বর ও ফ্লু'র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে, যদিও ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে - এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে কি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত? উত্তর হলো, না। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বা ট্যাবলেট খুবই নিরাপদ হলেও প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আপনি যদি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে চান: যাদের ভিটামিন ডি'র স্বল্পতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ডাক্তাররা অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে বলে থাকেন। আবার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে - যেমন কিডনির সমস্যা - নিরাপদে ভিটামিন ডি নেয়া যায় না। কিছু সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে এটি কি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে? ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবেন না, এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মহামারির সময় এই ভিটামিন নেয়ার আলাদা উপকারিতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে মেডিসিনের ইমেরিটাস প্রফেসর জন রোডস বলেন, ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরীণ জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়তা করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অত্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রদাহের কারণে ফুসফুসে বড় ধরণের ক্ষতি হয়, যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর হতে পারে ভিটামিন ডি। তবে এই বিষয়ে আরো অনেক গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন অধ্যাপক রোডস। খাদ্যাভ্যাসে কি পরিবর্তন আনতে হবে? ভারসাম্যপূর্ণ সুষম খাদ্য খেলেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর থাকে, আলাদা কোনো খাবার বা খাদ্য উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হঠাৎ উন্নতি সাধন করবে না। শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। তবে মাছ, ডিম, দইয়ের মত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।", "doc2": "Des suppléments de vitamine D sont recommandés par les responsables de la santé publique pendant le confinement Normalement, beaucoup d'entre nous en prennent suffisamment en passant du temps à l'extérieur. Notre peau en produit lorsqu'elle est exposée au soleil. La vitamine du soleil, avec d'autres, peut aider notre corps à rester en forme pour éviter les maladies et les infections - ce qui est important pendant une pandémie. Le mentholatum ne prévient pas le Covid-19 Qui pourrait donc avoir besoin de compléments ? Quelles sont les recommandations ? Au Royaume-Uni, il est déjà conseillé d'envisager de prendre un supplément de 10 microgrammes par jour pendant les mois d'hiver (d'octobre à mars), et toute l'année si l'on ne passe pas beaucoup de temps à l'extérieur. La santé publique anglaise s'inquiète du fait que les gens pourraient manquer de cette vitamine pendant la pandémie de coronavirus, alors qu'on nous conseille de rester plus longtemps à la maison. A lire aussi sur BBC Afrique: Elle recommande la vitamine D toute l'année si : Les personnes à la peau foncée peuvent également ne pas en avoir assez, même si elles passent du temps à l'extérieur. Coronavirus: le port des gants est-il obligatoire? Les gouvernements écossais et gallois ont émis le même avis. Sara Stanner, de la Fondation britannique pour la nutrition, a déclaré \"mmalheureusement, comme les effets du coronavirus se poursuivent, beaucoup d'entre nous sont limités dans le temps qu'ils peuvent passer à l'extérieur. Il est extrêmement important de respecter correctement les mesures gouvernementales et de rester chez soi et, bien que beaucoup d'entre nous aient un accès limité à la lumière du soleil, cela signifie que nous devons faire un peu plus attention pour maintenir nos niveaux de vitamine D\". Pourquoi avons-nous besoin de vitamine D ? La vitamine D est importante pour la santé des os, des dents et des muscles. Une carence en vitamine D peut entraîner une déformation des os appelée rachitisme chez les enfants et une faiblesse osseuse similaire appelée ostéomalacie chez les adultes. Certaines études suggèrent qu'en évitant les carences, nous pouvons mieux résister aux rhumes et aux grippes, bien qu'il n'y ait aucune preuve que la vitamine D renforce le système immunitaire. Dois-je en prendre beaucoup ? Non. Bien que les suppléments de vitamine D soient très sûrs, il peut être dangereux à long terme de dépasser la quantité recommandée chaque jour. Si vous choisissez de prendre des suppléments de vitamine D : La vitamine D a des effets anti-inflammatoires et des capsules sont disponibles dans les supermarchés Des doses plus élevées peuvent parfois être recommandées par un médecin pour les patients présentant une carence avérée en vitamine D. Certaines personnes souffrant de certains problèmes médicaux, tels que des problèmes rénaux, ne peuvent pas prendre de vitamine D en toute sécurité. Peut-ilguérir le covid-19? Non. Rien ne prouve qu'il réduit le risque d'attraper ou de tomber malade du coronavirus. Mais les experts pensent qu'il pourrait avoir des effets bénéfiques pendant la pandémie. Les suppléments de vitamine D amélioreront la santé des personnes vulnérables. Certains chercheurs ont suggéré que les personnes avec des carences en vitamine D pourraient être plus malades si elles attrapent le nouveau coronavirus. Mais d'autres facteurs de risque sous-jacents, tels que les maladies cardiaques, sont également courants chez ces patients, ce qui fait qu'il est difficile de tirer des conclusions. Les excréments et l'urine des vaches ne sont pas un remède contre le COVID-19 Des chercheurs espagnols et français font des essais cliniques pour voir si la vitamine D aide les patients atteints de coronavirus à aller mieux. Selon le professeur Jon Rhodes, professeur émérite de médecine au Royaume-Uni, la vitamine D a des effets anti-inflammatoires et certaines recherches suggèrent qu'elle pourrait freiner la réponse immunitaire de l'organisme aux virus. Cela pourrait être pertinent chez les patients très malades atteints de coronavirus, où de graves lésions pulmonaires peuvent résulter d'une \"tempête de cytokines\" inflammatoire en réponse au virus, bien que des recherches beaucoup plus approfondies soient nécessaires pour explorer ce point, dit-il. Où puis-je l'acheter ? Les suppléments de vitamine D sont largement disponibles dans les supermarchés et les pharmacies. Il peut s'agir simplement de vitamine D ou de multivitaminé. Les experts recommandent de ne pas acheter plus que ce dont vous avez besoin pour que tout le monde ait accès aux compléments. L'ingrédient figurant sur l'étiquette de la plupart des suppléments de vitamine D est la D3. La vitamine D2 est produite par les plantes, et la vitamine D3 est celle fabriquée par votre peau. Des gouttes de vitamine sont disponibles pour les bébés. Certaines céréales sont enrichies en vitamine D Qu'en est-il de l'alimentation ? Bien qu'un régime alimentaire équilibré puisse contribuer à assurer le fonctionnement normal du système immunitaire, aucun nutriment, aliment ou complément individuel ne va le \"booster\" au-delà des niveaux normaux. Il est difficile d'obtenir suffisamment de vitamine D à partir de la seule nourriture. Un régime alimentaire équilibré est important pour la santé et est conseillé même lorsque les gens ne sont pas confrontés à une pandémie. Il peut comprendre des aliments riches en vitamine D, comme les poissons gras et les œufs. Certaines céréales, margarines et yaourts pour le petit déjeuner sont enrichis en vitamine D. Cas de Coronavirus: l'impact à travers le monde Coronavirus: comment se protéger Coronavirus: quels sont les derniers symptômes ? Dois-je prendre un bain de soleil ? Bien qu'il soit impossible de faire une overdose de vitamine D en s'exposant au soleil, on peut se brûler en s'exposant trop longtemps. Il faut donc trouver un équilibre entre la recherche de vitamine D et la sécurité lorsqu'on s'expose au soleil. Prenez soin de vous couvrir ou d'appliquer sur la peau un écran solaire pour éviter les brûlures. Qu'en est-il des enfants, des bébés et des femmes enceintes ? Le conseil des autorités sanitaires est : La dose pour les adultes (10 microgrammes par jour) s'applique aux femmes enceintes et allaitantes. D'autres sujets sur BBC Afrique:"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51661523", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-51658411", "doc1": "বঙ্গেকিলি এমসিবি আরেকটি সন্তান নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু বঙ্গেকিলি এমসিবি বিবিসিকে বলছেন, তিনি সেটি জানতে পেরেছেন তার এগার বছর পর যখন - তিনি দ্বিতীয় সন্তান নেবার চেষ্টা করছিলেন তখন। দেশটির কমিশন ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একটি হাসপাতালে এই নারীসহ ৪৮ জনকে বন্ধ্যা করা হয়েছিলো তাদের কাছ থেকে সম্মতি না নিয়েই। তবে কমিশন জানিয়েছে, রোগীদের ফাইল গায়েব হওয়ার কারণে তাদের তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারাও তদন্তকারীদের সহায়তা করেনি। তারা জানিয়েছে, তদন্ত কর্মীরা পনেরটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে এবং এর মধ্যে কিছু ২০০১ সালের ঘটনাও আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতে ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে যা ঘটেছে ছাত্রীনিবাসে কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার: কেন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে? বয়ঃসন্ধি: যেভাবে বুঝবেন, যে আচরণ করবেন বয়ঃসন্ধিকাল কখন শেষ হয় - ১৯ না ২৪ বছরে? না জানিয়ে জরায়ু ফেলে দিয়ে বন্ধ্যা করে দেয়া আফ্রিকায় অনেক শোনা যায় তবে এ রিপোর্টের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি। তবে মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কমিশনকে তার সঙ্গে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । মিস এমসিবি তার দুর্ভাগ্যের বর্ণনা দিয়েছেন বিবিসির ক্লেয়ার স্পেনসারের কাছে। \"আমি সন্তান জন্ম দেয়ার পর যখন জেগে উঠলাম, তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেনো আমার তলপেটে এতো ব্যান্ডেজ?\" আমি কিছু মনে করিনি। মাত্রই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলাম। বেশ বড়সড় ছিলো বাচ্চাটা এবং আমাকে অবশ করা হয়েছিলো সিজারের জন্য। সন্তান হওয়ার পাঁচদিন পর হাসপাতাল ছেড়েছিলাম স্বাস্থ্যবান সন্তান, আর তলপেট নিয়ে কিছুটা ভয় নিয়েই। তবে পরের এগা��� বছরে আমি এর কিছুই জানতে পারেনি। বিষয়টি অজানাই ছিলো। হিস্টেরেকটমিজরায়ু বা তার অংশ কেটে বাদ দেয়া টিউবাল লাইগেশনফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ করে দেয়া আমি আবার সন্তান নেবার চেষ্টা করছিলাম। এর আগে আমি জন্মনিরোধক পিল খেতাম। পরে যখন সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন গেলাম ডাক্তারের কাছে। তিনি পরীক্ষা করে আমার কাছে বসলেন, আমাকে পানি খেতে দিলেন। এরপর বললেন, \"তোমার কোনো জরায়ু নেই।\" এটা ছিল আমার কাছে এক চরম নিষ্ঠুরতা। মাত্র সতের বছর বয়সে জন্ম দিয়েছিলেন এই কন্যার আমি চরম বিপর্যস্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। আমার কাছে ডাক্তারের কথা গ্রহণযোগ্য মনে হলোনা, কারণ আমি তো এর মধ্যেই সন্তানের মা হয়েছি। এর আমি বের করলাম যে আমার জরায়ু আসলেই ফেলে দেয়া হয়েছে এবং এটা হয়তো আমার সন্তান জন্মের পরই করা হয়েছিল। তারা যা করেছে সেটা একটা নিষ্ঠুরতা মাত্র। আমি সংবাদ মাধ্যমকে জানালাম। এরপর সেই ডাক্তারের খোঁজ পাওয়া গেলো। তিনি দু:খ প্রকাশ করেননি। বরং বলেছেন, আমার জীবন রক্ষার জন্যই বন্ধ্যা করে দেয়া হয়েছে। আমি এখনো জানিনা কী সমস্যা থেকে তিনি আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছেন, কারণ হাসপাতাল এর কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করেনি। \"আমি একাই নই। তদন্তে পাওয়া গেছে এমন আরও ৪৭ জন আছে। কয়েকজনকে বলা হয়েছে এইচআইভির কারণের কথা, কিন্তু আমার তাও ছিলোনা। আমি তখন কমবয়েসি ছিলাম।\" ডাক্তার বলছেন, আমি নাকি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছি - কিন্তু আমি তা করিনি। পরে তিনি বলেন, ওই সময় আমার সাথে থাকা আমার মা নাকি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু মাও বলেছে,ন তিনি সেটি করেননি। কিন্তু খবরটি আমার জীবনকে পাল্টে দিলো। এর পরিণতিতে আমার প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলো। আমিই তাকে চলে যেতে দিলাম, কারণ সে খুব সন্তান চাচ্ছিলো। খুব করে সন্তান চাচ্ছিলাম আমিও। এ সপ্তাহেই একজন গর্ভবতী নারী দেখে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তবে আমার ওভারিগুলো আছে এখনো এবং সে কারণে ভাবছি, হাসপাতাল চাইলে আমাকে সারোগেট সন্তান নিতে সাহায্য করতে পারে। বঙ্গেকিলি এমসিবি তবে আমি চাচ্ছি এর জন্য যে দায়ী সেই ডাক্তার জবাবদিহির আওতায় আসুক। কারণ এসব করতে আমরা আর চিকিৎসকদের সুযোগ দিয়ে যেতে পারিনা। চিকিৎসকদের জানতে হবে, তাদের কাজও নজরদারির মধ্যে আছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দিল্লিতে যেভাবে নড়ে গেছে হিন্দু-মুসলি��� বিশ্বাসের ভিত সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যেই হিন্দু মুসলমানদের হাতে হাত রাখার গল্প করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে কী করছে ইরান? জাতিসংঘ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে লড়বেন আমাল ক্লুনি", "doc2": "Bongekile Msibi veut désespérément un autre enfant Elle ne l'a appris que 11 ans plus tard lorsqu'elle a essayé d'avoir un autre enfant. Bongekile Msibi faisait partie des 48 femmes stérilisées sans leur consentement dans les hôpitaux publics en Afrique du Sud, a constaté la Commission pour l'égalité des genres. Bien qu'étant un organe statutaire, la commission a déclaré que son enquête était entravée par la \"disparition\" des dossiers des patients, et que ses enquêteurs avaient reçu un \"accueil hostile\" de la part du personnel hospitalier. La commission a déclaré que ses enquêteurs ont visité 15 hôpitaux après que des groupes de défense des droits civils a porté à son attention des cas, dont certains remontent à 2001. Le ministère sud-africain de la santé n'a pas encore donné de réponse détaillée au rapport, mais a déclaré que son ministre, Zweli Mkhize, avait demandé une réunion avec la commission pour en discuter. Mme Msibi a rappelé son épreuve à Clare Spencer de la BBC : Je me suis réveillée après avoir accouché, j'ai regardé en bas et j'ai demandé : \"Pourquoi ai-je un énorme pansement sur le ventre ?\" Cela ne m'a pas dérangée. Je venais de donner naissance à ma petite fille. C'était un gros bébé et j'avais été anesthésiée et j'avais subi une césarienne. J'ai quitté l'hôpital cinq jours après l'accouchement, avec une petite fille en bonne santé et une énorme cicatrice sur le ventre. Je n'ai pas su ce qui s'était réellement passé pendant 11 ans. Mon monde s'est effondré lorsque j'ai essayé de concevoir à nouveau. J'avais pris la pilule contraceptive pendant tout ce temps depuis que j'avais accouché et il n'était donc pas étrange que je n'aie pas eu mes règles. Mais je me suis fiancée et je voulais avoir un autre enfant, alors je suis allée voir le médecin. Il m'a examinée, m'a fait asseoir, m'a donné un verre d'eau et m'a dit que je n'avais pas d'utérus. Une cinquantaine de Sud-Africaines porteuses du VIH stérilisées de force Fréderic de Klerk fait son mea-culpa sur l'apartheid en Afrique du Sud Ils refusent d’organiser un mariage de lesbiennes \"C'est très cruel\" ! J'étais dévasté et confus. Cela n'avait pas de sens parce que j'étais déjà mère. J'ai calculé que mon utérus avait dû être enlevé et que cela n'aurait pu se produire qu'après l'accouchement. C'est très cruel ce qu'ils m'ont fait. Je suis allée voir la presse, puis le ministère de la Santé et j'ai fini par retourner à l'hôpital où j'ai accouché avec le médecin qui a dit qu'il était là ce jour-là. Il n'a pas dit qu'il était désolé. Il m'a dit qu'il m'avait stérilisée pour me sauver la vie. Je ne sais toujours pas de quoi il essayait de me sauver. Il n'y a pas de dossier à l'hôpital. Je ne suis pas la seule. Une enquête a révélé qu'il y en a 47 autres. On a dit à certains que c'était parce qu'ils avaient le VIH, mais pas moi. Je ne sais pas pourquoi ils l'ont fait. Le médecin m'a dit que j'avais signé un formulaire de consentement. Je ne l'avais pas signé. J'étais mineur à l'époque, je n'aurais donc pas pu le faire. Il m'a alors dit que ma mère, qui était avec moi à la naissance, avait signé le formulaire de consentement. Elle a dit qu'elle ne l'avait pas fait. Bongekile Msibi avait 17 ans lorsque les médecins lui ont retiré l'utérus à son insu Cette nouvelle a changé ma vie Finalement, je me suis séparée de mon fiancé. J'ai dû le laisser partir parce qu'il voulait vraiment des enfants et je ne pouvais pas lui donner ça. Quand j'ai rencontré le médecin, on m'a demandé ce que je voulais. Je veux tellement un bébé. Quand j'ai vu une collègue enceinte cette semaine, je n'ai pas pu le supporter. Ma fille veut un frère ou une sœur et quand nous passons devant des enfants de la rue, elle me suggère d'en élever un comme le mien. J'ai encore des ovaires et je pense donc que l'hôpital devrait payer une mère porteuse. Je veux aussi que quelqu'un soit tenu pour responsable. Nous ne pouvons pas permettre aux médecins de continuer à faire cela parce que nos droits en tant que femmes sont violés. Les médecins doivent savoir qu'ils sont surveillés, que nous savons ce qu'ils font quand nous sommes inconscient. Et puis je veux que le médecin qui a fait cela dise qu'il est désolé. Vu la façon dont cela a été traité, on pourrait croire qu'ils viennent de m'enlever un doigt alors qu'en fait, c'est toute ma féminité qu'ils ont volée. Je ne m'en remettrai jamais et la cicatrice me le rappellera toujours. Des jeunes filles, pilotes de l'air en Afrique du sud"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54322221", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54330196", "doc1": "নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা মি. ট্রাম্প ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র যোগাড় করেছে। ২০১৬ সালে তিনি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তার পরের বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালনের সময় এই পরিমাণ কর দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনে যা বলা হচ্ছে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা ১৯৯০-এর দশক থেকে থেকে মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র জোগাড় করেছে। তারা লিখছে, ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই তিনি কোন আয়কর দেননি। নথিপত্রে 'ধারাবাহিক লোকসান' উল্লেখ করা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তিনি আয়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসান দেখিয়েছেন'। যদিও মি. ট্রাম্প এটিকে 'ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আমি আসলে আয়কর দিয়েছি। আমার ট্যাক্স রিটার্ন শেষ হলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। আমার আয়করের হিসাব-নিকাশ চলছে।\" তিনি আরও বলেছেন, \"আইআরএস (ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস) আমাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখে না। ওরা আমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে।\" নিজের ব্যবসা ও সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে মামলার মুখে পড়েছেন। মি. ট্রাম্প আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের পর থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের আয়কর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেননি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে কোন আইন নেই তবে প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে প্রার্থীরা সেটি করে আসছেন। এমন সময় এই তথ্য প্রকাশিত হল যার মাত্র কয়েকদিন পরই মি. ট্রাম্প প্রথমবার ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের সাথে বিতর্কে মুখোমুখি হবেন। প্রতিবেদনে আরো যা বলা হয়েছে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে রাজনীতি নয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী তারকা ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি একজন 'রিয়েল এস্টেট টাইকুন' হিসেবে পরিচিত। বিলাসবহুল গল্ফ কোর্স ও হোটেলের মালিক তিনি। মি. ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে তিনশ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়ার জন্য ব��দেশি কর্মকর্তা সহ অনেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অর্থ দিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ভোটে হেরে গেলে ট্রাম্প কি ফলাফল মেনে নেবেন? ২০১৮ সালে মি. ট্রাম্প যে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন তাতে দেখা গেছে তিনি ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে, তার আয়কর বিষয়ক নথিতে দেখানো হয়েছে তিনি ৪৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করেছেন। মি. ট্রাম্প দা অ্যাপ্রেন্টিস নামে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন। হোয়াইট হাউজে প্রথম দুই বছর তিনি ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন যার উৎস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোন দেশ। এসব দেশের মধ্যে ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের নাম উঠে এসেছে। এমনকি 'দি অ্যাপ্রেন্টিস' নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য তিনি ৪২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। বিভিন্ন ব্রান্ড তার নাম ব্যবহার করবে সেজন্যেও তিনি ১৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এসব আয়ে তিনি কর প্রদান করেননি বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে। মি. ট্রাম্পের প্রতিপক্ষরা তার কড়া সমালোচনা করছেন। ওয়াশিংটনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত, হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, \"কর ফাঁকি দেয়ার নানা নিয়মাবলী নিয়ে মি. ট্রাম্প বেশ ভালই খেলেছেন। কর ফাঁকি দিতে তিনি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন।\" অন্যান্য খবর: দীপিকা পাডুকোন: কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই বলিউড তারকাকে সরকারের সঙ্গে আহমদ শফীর সখ্যতা বাংলাদেশকে যতটা বদলে দিয়েছে ধর্ম অবমাননার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরের সাজা খাটতে চাইলেন বিদেশী ঐতিহাসিক", "doc2": "Le journal - qui affirme avoir obtenu les déclarations fiscales de M. Trump et de ses sociétés sur deux décennies - affirme également qu'il n'a payé aucun impôt sur le revenu au cours de 10 des 15 dernières années. Les dossiers fiscaux révèlent \"des pertes chroniques et des années d'évasion fiscale\", selon le quotidien. M. Trump a qualifié l'article de \"fausse nouvelle\". \"En fait, j'ai payé des impôts. Et vous verrez que dès que mes déclarations d'impôts - elles sont en cours de vérification, elles le sont depuis longtemps\", a-t-il déclaré aux journalistes après la publication de l'article dimanche. \"L'IRS [Internal Revenue Service] ne me traite pas bien... ils me traitent très mal\", a-t-il dit. A ne pas manquer sur BBC Afrique M. Trump a fait l'objet de contestations judiciaires pour avoir refusé de partager des documents concernant sa fortune et son entreprise. Il est le premier président depuis les années 1970 à ne pas rendre publiques ses déclarations d'impôts, bien que cela ne soit pas exigé par la loi. Le Times a déclaré que les informations examinées pour cette enquête ont été \"fournies par des sources ayant un accès légal à celles-ci\". Le rapport a été publié quelques jours avant le premier débat présidentiel de M. Trump avec son rival démocrate Joe Biden et quelques semaines avant l'élection du 3 novembre. Quelles sont les principales accusations? Le Times dit avoir examiné les déclarations fiscales du président Trump et relatives aux sociétés détenues par l'organisation Trump depuis les années 1990, ainsi que ses déclarations personnelles pour 2016 et 2017. D'après le journal, le président n'a payé que 750 dollars d'impôts sur le revenu en 2016 et 2017, alors qu'il n'a payé aucun impôt sur le revenu au cours de 10 des 15 années précédentes, \"en grande partie parce qu'il a déclaré avoir perdu beaucoup plus d'argent qu'il n'en a gagné\". Avant d'être élu président, M. Trump était connu comme un homme d'affaires célèbre et un magnat de l'immobilier, ce qui lui a donné l'image d'un self-made milliardaire qui a connu un énorme succès. Une belle image qui pourrait être ternie par les dernières révélations, selon les observateurs. Lire aussi : Mais le journal affirme que ses déclarations fiscales \"dépeignent un homme d'affaires qui encaisse des centaines de millions de dollars par an tout en accumulant des pertes chroniques qu'il utilise pour éviter de payer des impôts\". Selon le Bureau américain des statistiques du travail, le ménage américain moyen a payé 9 302 dollars d'impôt fédéral sur le revenu en 2018, pour un salaire moyen de 78 635 dollars. Dans une déclaration financière annuelle qu'il est tenu de faire en tant que président, le président Trump a déclaré qu'il avait gagné au moins 434,9 millions de dollars en 2018. Le journal conteste cette affirmation, affirmant que ses déclarations d'impôts montrent que le président est plutôt dans le rouge, avec 47,4 millions de dollars de pertes. L'organisation Trump s'est jointe au président pour nier les accusations du journal. Le directeur juridique de la société, Alan Garten, a déclaré au Times que \"la plupart des faits, si ce n'est tous, semblent être inexacts\". L'organisation Trump a rejeté les accusations du New York Times, affirmant que \"la plupart\" des faits sont inexacts. \"Au cours de la dernière décennie, le président Trump a versé des dizaines de millions de dollars en impôts personnels au gouvernement fédéral, y compris des millions d'impôts personnels depuis l'annonce de sa candidature en 2015\", a-t-il déclaré. En utilisant le terme \"impôts personnels\", souligne le New York Times, M. Garten semble confondre les autres impôts fédéraux payés par M. Trump - tels que la sécurité sociale, l'assurance maladie et les impôts des personnes qui travaillent dans son ménage - avec l'impôt fédéral sur le revenu. Que révèle encore l'article ? Le journal affirme également que \"la plupart\" des plus grandes entreprises de M. Trump - telles que ses terrains de golf et ses hôtels - \"déclarent perdre des millions, voire des dizaines de millions de dollars, année après année\". \"Cette équation est un élément clé de l'alchimie financière de M. Trump : utiliser les revenus de sa célébrité pour acheter et soutenir des entreprises à risque, puis utiliser leurs pertes pour éviter de payer les impôts\", selon le quotidien. Le Times ajoute que le président est personnellement responsable de plus de 300 millions de dollars de prêts, qui arriveront à échéance dans les quatre prochaines années. Le journal affirme également que certaines des entreprises du président Trump ont reçu de l'argent de \"lobbyistes, de fonctionnaires étrangers et d'autres personnes cherchant à obtenir un rendez-vous, un accès ou une faveur\" du président. Le président Trump, photographié en 2015 lors du lancement de la série télévisée The Celebrity Apprentice, a gagné 427,4 millions de dollars en 2018 grâce à cette émission. Le Times affirme qu'il a utilisé les dossiers fiscaux pour connaître les revenus que le président tire de ses entreprises à l'étranger, affirmant qu'il a gagné 73 millions de dollars en revenus provenant de l'étranger au cours de ses deux premières années à la Maison Blanche. Une grande partie de ces revenus provenait de ses terrains de golf en Irlande et en Écosse, mais le Times affirme que la Trump Organization a également reçu de l'argent \"provenant d'accords de licence dans des pays ayant des dirigeants à tendance autoritaire ou une géopolitique épineuse\". Le Times affirme que les accords de licence ont rapporté 3 millions de dollars aux Philippines, 2,3 millions de dollars à l'Inde et 1 million de dollars à la Turquie. Le journal affirme que le président Trump a gagné au total 427,4 millions de dollars jusqu'en 2018 grâce aux revenus de la série The Apprentice US, ainsi qu'aux accords de marque dans le cadre desquels des organisations ont payé pour utiliser son nom. Il aurait également réalisé 176,5 millions de dollars de bénéfices en investissant dans deux immeubles de bureaux. Lire aussi : Cependant, le Times prétend que le président n'a payé presque aucun impôt sur ces gains importants, car il a indiqué que les entreprises qu'il possède et dirige ont subi des pertes importantes. Le quotidien prétend également que M. Trump a réduit son revenu imposable en payant des honoraires de consultation à Ivanka Trump, sa fille et conseillère principale. Dans les déclarations financières déposées en 2017, elle a déclaré avoir reçu 747 622 dollars d'une société de conseil dont elle était copropriétaire. Selon le Times, des honoraires de conseil d'un montant exactement identique ont été réclamés en déduction d'impôt par la Trump Organization pour des projets hôteliers. M. Trump aurait également déduit plus de 70 000 dollars de frais de coiffure en tant que dépenses professionnelles pendant son séjour dans The Apprentice. Les terrains de golf du président Trump en Écosse, ainsi qu'un autre en Irlande, ont subi des pertes de 63,3 millions de dollars en 2018, selon le New York Times. Le journal affirme également que le président Trump a fait usage d'un abattement fiscal qui permet aux propriétaires d'entreprises de \"reporter les pertes restantes pour réduire les impôts les années à venir\". Par exemple, le journal affirme que le plus grand complexe de golf du président Trump, le Trump National Doral, près de Miami, a subi des pertes de 162,3 millions de dollars depuis qu'il l'a acheté en 2012. De même, ses deux terrains de golf en Écosse et un en Irlande auraient subi des pertes combinées de 63,6 millions de dollars. L'avocat fiscaliste et analyste politique Steve Rosenthal, qui a déjà travaillé avec le Times sur les finances de M. Trump, a déclaré que l'histoire \"va au cœur de l'image de M. Trump en tant qu'homme d'affaires prospère\". \"Vous ne pouvez pas générer le niveau de pertes que M. Trump a généré sans échouer de façon spectaculaire. La façon dont il continue à générer des pertes et à fonctionner suggère qu'il continue à emprunter de l'argent pour maintenir ses opérations à flot\", a-t-il déclaré au BBC World Service. Mais l'ampleur des torts que cela pourrait causer au président en vue de sa réélection est sujet à débat, selon Jon Sopel, rédacteur en chef de la BBC pour l'Amérique du Nord. A cette même période il y a quatre ans, lorsque Hilary Clinton lui a reproché le peu d'impôts qu'il payait, M. Trump a répondu : \"Cela me rend intelligent.\" Beaucoup de ses partisans ont applaudi, souligne notre rédacteur en chef. A regarder : Comment se dessineront les relations entre Trump et l'Afrique? Quelles ont été les réactions ? Les opposants politiques de M. Trump ont condamné les arrangements fiscaux qu'il aurait mis en place. La présidente de la Chambre, Nancy Pelosi, la plus puissante démocrate de Washington, a déclaré que l'enquête montrait que M. Trump avait pris des \"mesures extraordinaires\" pour \"jouer avec le code des impôts et éviter de payer sa juste part d'impôts\". Sur Twitter, le leader de la minorité au Sénat, Chuck Schumer, a demandé aux Américains de lever la main s'ils avaient payé plus d'impôt fédéral que M. Trump. Le candidat démocrate à la présidence Joe Biden n'a pas encore fait de commentaires, mais son équipe de campagne a souligné sur Twitter que les enseignants, les pompiers et les infirmières ont tous payé beaucoup plus que 750 dollars d'impôts."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51559302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51532088", "doc1": "ব্যবহৃত ভুয়া একটি ছবি বিভিন্ন ভঙ্গিতে যেসব নারীদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে তারা পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সৈন্যদের কাছে অল্প বয়সী নারীদের নকল ছবি পাঠানো হয়েছিল। সেগুলো খুলে দেখার সাথে সৈন্যদের অজান্তে তাদের মোবাইলে একটি অ্যাপ হয়ে যায়। হ্যাকাররা ভুল হিব্রু ব্যবহার করেছে। ওই নারীরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অথবা বধির এমনটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বন্ধুত্ব হওয়ার পর সেনাদের একটা লিংক পাঠানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে এটির মাধ্যমে তারা একে অপরকে ছবি পাঠাতে পারবে। লিংকে ক্লিক করার পর ফোনে ম্যালওয়ার ডাউনলোড হয়ে গেছে। এর ফলে ফোন গুলোতে এমন এক ভাইরাস ইন্সটল হয়েছে যা দিয়ে ফোনের সকল ছবি, ফোন নম্বর, তথ্য ও অবস্থান জানা সম্ভব। এই ভাইরাস দিয়ে ফোন ব্যবহারকারীর অজান্তে সেটি দিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও করা সম্ভব। ওই মুখপাত্র বলছেন, তাতে অবশ্য তেমন কোন গোপন তথ্য তারা নিতে পারেনি। গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস ও ইসরাইল একে অপরকে চিরশত্রু বলে মনে করে। তারা নিয়মিত একে অপরের গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে চেষ্টা করে। আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল কাছাকাছি সময়ে এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো হামাস এমন তথ্য চুরি করতে সৈন্যদের মোবাইল ফোনে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথান কর্নিকাসের মতে, একটি ছিল কৌশলগত দিক থেকে সবচাইতে অগ্রসর। তিনি বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে আগের থেকে আরও অনেক কিছু শিখেছে। এর আগে এমন বিষয়ে সৈন্যদের সাবধান করা হলেও দেখা যাচ্ছে তাতে অনেকেই কান দেননি।", "doc2": "Une des fausses images prétendument utilisées par les hackers du Hamas Un porte-parole a déclaré que les soldats ont reçu de fausses photos de jeunes femmes et ont été attirés par le téléchargement d'une application sans savoir qu'elle pouvait accéder à leurs téléphones. Il a déclaré qu'il n'y avait pas eu de \"violation significative de l'information\" avant que l'escroquerie ne soit déjouée. Le Hamas, qui contrôle Gaza, et Israël se considèrent comme des ennemis mortels. Lire aussi : Une femme palestinienne lors de la marche pour le 32 anniversaire du Hamas le 14 décembre 2019. C'est la troisième tentative de ce type au cours des dernières années par le Hamas d'infiltrer les téléphones des soldats israéliens, mais c'était la plus sophistiquée à ce jour, selon le lieutenant-colonel Jonathan Conricus. \"Nous voyons qu'ils apprennent et améliorent leur jeu\", a-t-il déclaré. Le colonel Conricus a déclaré que les pirates informatiques s'étaient fait passer pour des jeunes femmes à l'hébreu imparfait, prétendant être des immigrantes ou avoir des déficiences visuelles ou auditives, afin de paraître convaincantes. Après avoir noué des amitiés, les \"femmes\" envoyaient des liens qui, selon elles, leur permettaient d'échanger des photos, mais qui, en réalité, amenaient les soldats à télécharger des logiciels malveillants - des programmes qui peuvent attaquer les smartphones ou les appareils informatiques. Des recrues de la police palestinienne fidèles au Hamas lors d'une session de formation dans une école de police à Khan Yunis, dans le sud de la bande de Gaza Lire également : Une fois le lien ouvert, le programme installait un virus qui permettait au pirate d'accéder aux données du téléphone, y compris la localisation, les photos et les contacts. Il pourrait également manipuler le téléphone à distance, l'utilisant pour prendre des photos et des enregistrements à l'insu de son propriétaire. Le colonel Conricus a déclaré que les forces de défense israéliennes (IDF) avaient découvert le complot il y a plusieurs mois mais l'avaient laissé se poursuivre sous surveillance jusqu'à ce qu'elles l'arrêtent. L'IDF a déjà averti les soldats de la nécessité d'être vigilants lorsqu'ils utilisent des smartphones et a publié des directives pour essayer de prévenir les tentatives de piratage. Israël et le Hamas sont en état de conflit permanent et tous deux sont engagés dans la collecte de renseignements l'un contre l'autre dans le cadre de leurs hostilités en cours. Regarder : Palestine: le Hamas et le Fatah se réconcilient au Caire"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50242731", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50240083", "doc1": "বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি একসময় হয়তো মানব প্রজাতির জন্য একটি হুমকি হয়ে উঠতে পারে কিন্তু নতুন একটি বইতে বলা হচ্ছে, রোবট আসলে নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠছে না বা তাদের মানুষ প্রভুর বিরুদ্ধে কোন মনোভাব তৈরি করছে না, যেটি মানুষের জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। কিন্তু আসলে এসব যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এগুলো এতোটাই দক্ষ হয়ে উঠছে যে, হয়তো দুর্ঘটনাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ভুল কোন কাজে লাগানোর মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে। 'হিউম্যান কম্প্যাটিবল: এআই এন্ড দি প্রবলেম অব কন্ট্রোল' নামের বইটি লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টুর্ট রাসেল, যিনি আধুনিক যন্ত্র সক্ষমতা প্রযুক্তির ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ। আরো পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এতো ভয় কিসের? নকল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে 'অর্থ চুরি' রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে? এই শতাব্দীর পর কি বিশ্বে মানবজাতি টিকে থাকবে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, '' হলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় যে, যন্ত্রগুলো নিজে থেকেই সচেতন হয়ে উঠছে এবং তারপরে তারা মানুষকে ঘৃণা করতে শুরু করে আর সবাইকে মেরে ফেলতে চায়।'' কিন্তু রোবটের কোন মানবিক অনুভূতি থাকে না। সুতরাং সেটা একেবারেই অহেতুক একটা বিষয়, যা নিয়ে নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। ''এখানে আসলে খারাপ মনোভাবের কোন ব্যাপার নেই। আমাদের আসলে তাদের দক্ষতার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত\" 'অত্যন্ত দক্ষ' নানা কাজে দিনে দিনে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে উঠছে রোবট বিবিসি টুডে অনুষ্ঠানে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি হুমকির একটি কল্পিত উদাহরণ তুলে ধরেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন। কল্পনা করুন যে, আমাদের একটি শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা আছে, যেটি বিশ্বের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সেটি ব্যবহার করে আমার প্রাক-শিল্প পর্যায়ের কার্বন ডাই-অক্সাইড মাত্রার আবহাওয়ায় ফিরে যেতে চাই। ''তখন সেটি ঠিক করলো যে, এটা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পৃথিবী থেকে সব মানুষকে সরিয়ে ফেলা, কারণ পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের দিক থেকে মানুষই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, '' বলছেন অধ্যাপক রাসেল। ''আপনি হয়তো বলতে চাইবেন, তুমি যা চাও সব কিছুই করতে পারবে, শুধুমাত্র মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না। তখন ওই সিস্টেম কী করবে? এটি তখন আমাদের সন্তান কম নেয়ার ব্যাপারে প্রভাবিত করবে, যতক্ষণ না পৃথিবী থেকে মানুষ শেষ হয়ে যায়।'' এই উদাহরণের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিপদের সেইসব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা মানুষ খুব চিন্তাভাবনা করে নির্দেশ না দিলে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। অতি বুদ্ধি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর দি স্টাডি অফ এক্সিসটেনশিয়াল রিস্কের তথ্য অনুসারে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পদ্ধতিগুলো অ্যাপ্লিকেশন সীমাবদ্ধ, যেগুলোর নকশা করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট কোন সমস্যার সমাধান করার জন্য। এই খাতের একটি মাইলফলক মুহূর্ত আসে ১৯৯৭ সালে, যখন কম্পিউটার ডিপ ব্লু দাবায় তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভকে ছয়টি খেলার একটি ম্যাচে হারিয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও ডিপ ব্লুকে মানুষ বিশেষভাবে নকশা করেছিল দাবা খেলার জন্য। একটি মাইলফলক মুহূর্ত আসে ১৯৯৭ সালে, যখন কম্পিউটার ডিপ ব্লু দাবায় তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভকে ছয়টি খেলার একটি ম্যাচে হারিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে আর সে কথা বলা যাবে না। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আলফাগো জিরো সফটওয়্যার তিনদিন ধরে নিজের বিরুদ্ধেই 'গো' (একটি বোর্ড গেম) খেলার পরে দক্ষতার দিক থেকে সুপার-হিউম্যান পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ''কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই পদ্ধতি যতই শক্তিশালী হয়ে উঠবে, ততই এটি অতি বুদ্ধির অধিকারী হয়ে উঠবে। এটি হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে,'' বলছে এক্সিসটেনশিয়াল রিস্ক সেন্টার। আর এ কারণেই অধ্যাপক রাসেল বলছেন, মানুষের উচিত রোবট বা যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা। 'আমরা জানি না, আমরা কী চাই' অধ্যাপক রাসেল বলছেন, মানুষের উচিত রোবট বা যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা। তিনি বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্রকে আরো বেশি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা কাজ ঠিক করে দেয়া এই সমস্যার সমাধান নয়। কারণ মানুষ নিজেরাই ঠিক মতো জানে না যে, এসব উদ্দেশ্য আসলে কী? ''আমরা জানি না যে, কোন কিছু না ঘটা পর্যন্ত আসলে আমরা কোন কিছু পছন্দ করতে পারি না।'' তিনি বলছেন। যে কারণে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছি, তার মূল ভিত্তিই আমাদের বদলে ফেলা উচিত,'' তিনি বলছেন। তার মতে, রোবটকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ঠিক করে দেয়া এবং সেটি থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা নেয়ার মতো ধারণ��� থেকে সরে আসা উচিত। ''বরং সিস্টেমটা এমন হওয়া উচিত যেন সেটি জানতে না পারে যে, আসলে সে কী উদ্দেশ্যে কাজ করছে।'' ''যখন আপনি এভাবে সিস্টেমটি পরিচালনা করবেন, তখন সেটি আসলে মানুষের থেকে পিছিয়ে থাকবে। তারা কোন কিছু করার আগে প্রশ্ন করতে শুরু করবে, কারণ যন্ত্র তখন আর নিশ্চিত হতে পারবে না যে, আপনি কী চাইছেন।'' অধ্যাপক রাসেল বলছেন, বিশেষ করে তখন যন্ত্রগুলো নিজেদের গুটিয়ে রাখবে, কারণ সেগুলো এমন কিছু করতে চাইবে না, যা আপনি অপছন্দ করতে পারেন। বাতির দৈত্য '২০০১: এ স্পেস ওডিসি' চলচ্চিত্রে একটি বিদ্রোহী কম্পিউটারকে তুলে ধরা হয়েছে ''আমরা যে পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছি সেটি অনেকটা যেন বাতির ভেতরে থাকা দৈত্যের মতো। আপনি বাতি ঘষবেন, তখন দৈত্য বেরিয়ে আসবে আর আপনি বলবেন যে, আমি চাই এটা করা হোক।'' বলছেন অধ্যাপক রাসেল ''আর তখন যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথেষ্ট ক্ষমতা থাকে, আপনি যা করতে বলবেন, সেটা ঠিক তাই করবে। আপনি যা চাইছিলেন, তাই পাবেন।'' ''এখন বাতির দৈত্যের সমস্যা হল, সেখানে তৃতীয় ইচ্ছার ব্যাপারটি থেকে যাচ্ছে। যদি বলেন প্রথম দুটো ইচ্ছা বাতিল করে আগের মতো করে দাও, কারণ আমরা আমাদের লক্ষ্য ভালোভাবে ঠিক করতে পারছি না।'' ''সুতরাং যদি একটি যন্ত্র এমন একটি উদ্দেশ্যে কাজ করতে শুরু করে, যা ঠিক নয়, তখন সেটি মানব সভ্যতার জন্য শত্রু হয়ে উঠতে পারে। যে শত্রু আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে।'' ।", "doc2": "Un expert en intelligence artificielle dit que des robots bien intentionnés pourraient encore se retourner contre nous. Mais selon un nouveau livre, ce ne sont pas les robots qui prennent conscience d'eux-mêmes et se révoltent contre leurs maîtres humains qu'il faut craindre, mais les machines qui deviennent si bonnes pour poursuivre les objectifs que nous leur avons fixés, que nous finissons par être anéantis en leur fixant par inadvertance les mauvaises tâches. Le professeur Stuart Russell de l'Université de Californie, Berkeley, est l'auteur de \"Human Compatible : AI and the Problem of Control\", et un expert sur les progrès rendus possibles par l'apprentissage machine. Lire aussi: \"Le scénario hollywoodien décrit toujours la machine devient spontanément consciente et décide ensuite qu'elle déteste les êtres humains et qu'elle veut tous nous tuer\", a-t-il déclaré à la BBC. Mais les robots n'ont pas de sentiments humains, donc \"ce n'est pas du tout le bon point à prendre en compte\". \"Ce n'est pas vraiment une mauvaise conscience. C'est la compétence dont nous devons nous préoccuper - juste la compétence dans la poursuite d'un objectif que nous avons mal spécifié.\" 'Trop compétent' Les robots sont de mieux en mieux capables d'accomplir les tâches que nous leur confions. Dans une interview accordée à l'émission Today de la BBC, il a donné un exemple hypothétique de la menace réelle que l'IA pourrait représenter. Imaginez que nous disposions d'un puissant système d'IA capable de contrôler le climat de la planète et que nous voulons utiliser pour ramener les niveaux de CO2 dans notre atmosphère aux niveaux préindustriels. \"Le système se rend compte que la façon la plus simple d'y parvenir est de se débarrasser de tous les êtres humains, parce que ce sont eux qui produisent tout ce dioxyde de carbone en premier lieu \", a dit le professeur Russell. \"Et vous pourriez dire, eh bien, vous pouvez faire tout ce que vous voulez, mais vous ne pouvez pas vous débarrasser des êtres humains. Alors, que fait le système ? Ça nous convainc d'avoir moins d'enfants jusqu'à ce qu'il n'y ait plus d'êtres humains.\" L'exemple sert à mettre en évidence les risques associés à l'intelligence artificielle agissant selon des instructions auxquelles les humains n'ont pas pensé. La superintelligence Selon le Centre d'étude du risque existentiel de l'Université de Cambridge, au Royaume-Uni, la plupart des systèmes d'IA actuels sont des applications \"étroites\", spécifiquement conçues pour s'attaquer à un problème bien défini dans un domaine précis. Un moment marquant pour ce domaine est venu en 1997, lorsque l'ordinateur Deep Blue a battu le champion du monde en titre aux échecs Garry Kasparov dans un match de six parties. La victoire de Deep Blue sur Garry Kasparov aux échecs a été un jalon dans le développement de l'intelligence artificielle. Mais malgré l'exploit, Deep Blue a été spécialement conçu par les humains pour jouer aux échecs et serait perdu dans une simple partie de dames. Ce n'est pas le cas avec les progrès ultérieurs de l'intelligence artificielle. Le logiciel AlphaGo Zero, par exemple, a atteint un niveau de performance surhumain après seulement trois jours de jeu Go contre lui-même. Utilisant l'apprentissage profond, une méthode d'apprentissage machine qui utilise des réseaux neuronaux artificiels, AlphaGo Zero a exigé beaucoup moins de programmation humaine et s'est avéré être un très bon joueur de Go, d'échecs et de shogi. Lire également: Ce qui est peut-être alarmant, c'est qu'il était entièrement autodidacte. \"Au fur et à mesure qu'un système d'IA devient plus puissant et plus général, il peut devenir super-intelligent - supérieur à la performance humaine dans de nombreux ou presque tous les domaines \", explique le Centre des risques existentiels. Et c'est pourquoi, selon le professeur Russell, les humains doivent reprendre le contrôle. 'Nous ne savons pas ce que nous voulons' Selon le professeur Russell, les humains doivent reprendre le contrôle de l'IA avant qu'il ne soit trop tard. Il soutient que le fait de donner à l'intelligence artificielle (IA) des objectifs mieux définis n'est pas la solution à ce dilemme, parce que les humains eux-mêmes ne sont pas sûrs de ce que sont ces objectifs. \"Nous ne savons pas si nous n'aimons pas les choses avant qu'elles n'arrivent \", dit-il. \"Nous devrions changer toute la base sur laquelle nous construisons les systèmes d'IA \", dit-il, en nous éloignant de l'idée de donner aux robots des objectifs fixes qu'ils poursuivent ensuite. \"Au lieu de cela, le système doit savoir qu'il ne sait pas quel est l'objectif.\" \"Et une fois que vous avez des systèmes qui fonctionnent de cette façon, ils s'en remettent aux êtres humains. Ils vont commencer à demander la permission avant de faire les choses, parce qu'ils ne sont pas sûrs que c'est ce que vous voulez.\" Et surtout, dit le professeur Russell, ils seraient \"heureux de se laisser éteindre parce qu'ils veulent éviter de faire des choses que vous n'aimez pas\". Le génie dans la lampe Dans'2001 : Une odyssée de l'espace' (1968), un ordinateur très performant se rebelle contre les plans visant à l'éteindre. \"La façon dont nous construisons l'IA est un peu comme la façon dont nous pensons à un génie dans la lampe. Vous frottez la lampe, le génie sort et vous dites : \" J'aimerais que cela arrive \", dit le professeur Russell. \"Et si le système d'IA est suffisamment puissant, il fera exactement ce que vous demandez et vous obtiendrez exactement ce que vous demandez.\" \"Le problème avec les génies dans les lampes, c'est que le troisième souhait est toujours : \"S'il vous plaît, annulez les deux premiers souhaits, parce que nous n'avons pas été capables de spécifier correctement les objectifs.\" \"Une machine poursuivant un objectif qui n'est pas le bon devient, en fait, un ennemi de la race humaine - un ennemi beaucoup plus puissant que nous.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46554178", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-37573035", "doc1": "ইউনিভার্সিটি অব গানার চত্বর থেকে গান্ধীর মূর্তি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-শিক্ষক তাদের ক্যাম্পাসে গান্ধীর মূর্তি মেনে নিতে পারেননি। এর বিরুদ্ধে তারা পিটিশন করেন যাতে তারা বলেন, গান্ধী ছিলেন 'বর্ণবাদী'। তার মূর্তি সরিয়ে 'আফ্রিকার কোনো নায়কের' মূর্তি বসানোর দাবি করতে থাকেন। চাপে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষ চাপান গানার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা বলেন, সরকার এই মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আন্দোলন এতই জোরালো হতে তাকে যে গানার সরকার একসময় বলতে বাধ্য হয় যে গান্ধীর মূর্তিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। দুই বছর পর বুধবার সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আরো পড়ুন: গুগল সার্চে বাংলাদেশীরা যাদের বেশি খোঁজ করেছেন 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি ‘আহমেদ যদি হিন্দুর সামনে গরু কাটে, তা কি অপরাধ?’ গান্ধীর মূর্তি সরানোর পর ঐ ফাঁকা বেদীতে উল্লাস করছেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আপত্তি কোথায় আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তব্য - গান্ধী ছিলেন একজন 'বর্ণবাদী'। তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের ছোটো চোখে দেখতেন, হেয় করতেন। গানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রী নানা আদোমা আসারি বিবিসিকে বলেন, \"ক্যাম্পাসে তার (গান্ধীর) মূর্তি স্থাপনের অর্থ হচ্ছে, তার বিশ্বাস বা মতবাদকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু তার বিশ্বাস যদি এমন (কথিত বর্ণবাদ) হয়, তাহলে তার মূর্তি ক্যাম্পাসে থাকতে পারেনা।\" গান্ধী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রদ্ধেয় রাজনীতিক। অহিংস আন্দোলন করে তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন। যুবক বয়সে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করেছেন এবং সেখানে কাজ করেছেন। যদিও বিশ্বের বহু মানুষের কাছে তিনি একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব, কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের নিয়ে তার কিছু মন্তব্য সবসময় বিতর্কিত। তার প্রথম জীবনের কিছু লেখায়, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের \"কাফির\" হিসাবে বর্ণনা করেছেন যেটাকে সেদেশে একধরণের বর্ণবাদী গালি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি এমন কথাও বলেছেন যে ভারতীয়রা কৃষ্ণাঙ্গদের চেয়ে জাতি হিসাবে অনেক শ্রেয়।", "doc2": "Comme celle installée devant le Parlement britannique à Londres (photo), les statues de Gandhi symbolisent l'étroitesse des liens entre l'Inde et d'autres pays. La décision a été prise à la suite de la publication d'une pétition dénonçant le \"racisme\" du leader indépendantiste indien. La statue installée en juin dernier sur le campus de l'université d'Accra avait été inaugurée par le président indien Pranab Mukherjee. Elle symbolise l'étroitesse des relations entre le Ghana et l'Inde. En septembre, des universitaires ghanéens ont lancé une pétition demandant son retrait en raison du caractère \"raciste\" de Gandhi. Ils reprochent au défunt leader indépendantiste indien d'avoir dit que ses compatriotes étaient \"infiniment supérieurs\" aux Africains. \"Gandhi était humain...\" Le ministère ghanéen des Affaires étrangères, cité par l'Agence France-Presse, a fait part de sa volonté de \"relocaliser la statue pour assurer son intégrité et éviter la polémique\". \"Gandhi était humain et peut avoir eu ses défauts, mais nous devons nous rappeler que les gens changent\", ajoute-t-il. Un mouvement similaire à celui des universitaires ghanéens a eu lieu en Afrique du Sud en 2015, pour que soit enlevée la statue de Cecil Rhodes dans le campus de l'université du Cap. Cette figure de la colonisation britannique décédée en 1902 était notoirement raciste, selon les étudiants sud-africains, dont la revendication a été satisfaite."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50817708", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50744388", "doc1": "তারা বলছেন, একটি পিৎজা ক্যালোরি পোড়াতে চার ঘণ্টা হাঁটতে হয় এবং একটি চকলেট বার খেলে তার ক্যালোরি পোড়াতে ২২ মিনিট দৌড়াতে হয়- এ ধরণের তথ্য খাবারের জ্বালানি ব্যয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে। প্রাথমিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারের মোড়কে এ ধরণের লেবেল থাকলে তা মানুষকে কম পরিমাণ ভোগ করতে উৎসাহিত করবে। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গঠনকে উৎসাহিত করা। লফবারো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যারা এ ধরণের অন্তত ১৪টি গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন তারা বলছেন যে, মোড়কের গায়ে এ ধরণের লেবেলিং থাকলে একজন ব্যক্তি দৈনিক অন্তত ২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করেন। ক্যালোরি কী? •একটি খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় থেকে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয় ক্যালোরি দিয়ে। •একজন পুরুষের দৈনিক ২৫০০ কিলোক্যালোরি এবং একজন নারীর দৈনিক ২০০০ কিলোক্যালোরি দরকার হয় তাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য- শ্বাস নেয়া থেকে শুরু করে দৌড়ানো পর্যন্ত সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত। •যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে দেহে স্থূলতা দেখা দেয় কারণ অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়। •এমনকি প্রতি দিন একটু একটু বেশি খেলেও তা জমা হয়। এটা হয়তো খুব বেশি কিছু মনে হচ্ছে না, তবে এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ জার্নালে গবেষকরা বলেছেন যে, সারা দেশে স্থূলতা বৃদ্ধির উপর এর প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্থূলতা রয়েছে। প্রধান গবেষক অধ্যাপক আমান্ডা ডালি বলেন, \"আমরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, তারা যা খাচ্ছে অর্থাৎ তারা যাতে তাদের খাবার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে।\" খাবারে লেবেলে যদি \"ব্যায়াম ও ক্যালোরি\" সম্পর্কিত তথ্য থাকে তাহলে মানুষ বুঝতে পারে যে তারা কি খাচ্ছে এবং তা তাদেরকে খাবারের ব্যাপারে আরো ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অধ্যাপক ডালি বলেন, অনেক মানুষ বুঝতে পেরে অবাক হবে যে, কিছু কিছু স্ন্যাকস বা নাস্তায় থাকা ক্যালোরি ঝরাতে তাদেরকে কী পরিমাণ শারীরিক প��িশ্রম করতে হবে। \"আমরা জানি, খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি আছে তা মানুষ প্রায়ই অবজ্ঞা করে থাকে,\"তিনি বলেন। আরো পড়ুন: কর্মচারীর প্রেমে পড়ে চাকরি গেল ম্যাকডোনাল্ডস বসের জর্জ বুশ পিৎজা খাওয়ালেন তাঁর নিরাপত্তা দলকে ফুচকা উৎসবে ঢাকার খাদ্য রসিকদের ভিড় \"তাই উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি চকলেট মাফিন কেনেন এবং এতে যদি ৫০০ ক্যালোরি থাকে তাহলে এটি ঝরাতে আপনাকে ৫০ মিনিট দৌড়াতে হবে।\" \"এটা অবশ্যই ডায়েটিংয়ের বিষয় নয়।\" \"এটা মানুষকে জানানো যে আপনি যখন খাবার খান তখন এর একটি জ্বালানি খরচ আছে, যাতে তারা এ নিয়ে চিন্তার সুযোগ পায় 'আমি কি আসলেই এই চকলেট কেক ঝরাতে দুই ঘণ্টা পরিশ্রম করতে রাজি আছি?' এই চকলেট কেকটি কি আসলেই তার জন্য উপযুক্ত?\" ঝুঁকি বাড়াতে পারে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দ্য রয়্যাল সোসাইটি যত শিগগির সম্ভব এই লেবেল চালু করতে চাইছে এবং তারা মনে করছে যে, অনেক ভোক্তাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন। তারা বলছে, \"এ ধরণের লেবেলিং একজন ব্যক্তির শক্তি খরচের প্রেক্ষিতে তার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে চিত্রিত করে এবং এর মাধ্যমেই আমরা যে রেকর্ড পরিমাণ স্থূলতার মুখে পড়েছি তা আংশিকভাবে হলেও ব্যাখ্যা করা যায়।\" \"ছোট পদক্ষেপও ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।\" অধ্যাপক ডালি আশা করেন যে, খাবারের কোন একটি বড় কোম্পানি বা ফুড চেইন হয়তো তাদের পণ্যে নতুন এই লেবেল নিয়ে আসতে রাজি হবে যাতে করে এই ব্যবস্থাকে \"বাস্তব ক্ষেত্রে\" পরীক্ষা করা যায়। তবে খাবারকে এ ধরণের লেবেলিং করা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে। ইটিং ডিসঅর্ডার চ্যারিটি বিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী টম কুইন বলেন, \"যদিও আমরা স্থূলতা কমিয়ে আনার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি, তবুও যারা খাবার খাওয়া সংক্রান্ত জটিলতা বা ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন তাদের জন্য খাবারে এ ধরণের লেবেলিং ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।\" \"আমরা জানি যে, যাদের ইটিং ডিসঅর্ডার রয়েছে তারা এমনিতেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করা নিয়ে সমস্যায় থাকেন, তাই তাদেরকে যদি বলা হয় যে নির্দিষ্ট ধরণের খাবার খেলে কি পরিমাণ ব্যায়াম করতে হবে তাহলে তা তাদের লক্ষণকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।\"", "doc2": "Savoir qu'il faut quatre heures pour éliminer les calories d'une pizza ou 22 minutes pour celles d'une barre de chocolat permet de prendre conscience du coût énergétique des aliments, disent-ils. Ces étiquettes, selon des études exploratoires, aideraient les gens à contrôler leur consommation. L'objectif est d'encourager des habitudes alimentaires plus saines pour lutter contre l'obésité. Selon les chercheurs de l'Université de Loughborough, qui se basent sur 14 études, ce type d'étiquetage pourrait réduire d'environ 200 calories l'apport quotidien moyen d'une personne. À propos des calories Faire de meilleurs choix Cela peut ne pas sembler beaucoup, mais, d'après le Journal of Epidemiology and Community Health, cela aurait un impact sur les niveaux d'obésité. Plus des deux tiers des adultes au Royaume-Uni sont en surpoids ou obèses. Et étiqueter les aliments avec des \"calories d'exercice\" permet aux gens de comprendre plus facilement ce qu'ils mangent et de les poussent à faire de meilleurs choix. A lire aussi : Le professeur Daley a déclaré que de nombreuses personnes seraient choquées de réaliser combien d'exercice physique serait nécessaire pour brûler les calories de certaines collations et friandises."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44118154", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-50487447", "doc1": "নাইজেরিয়ার ইভান্স উইলিয়াম বিছানা থেকে শুরু করে সবকিছু বিক্রি করে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এখন নি:স্ব হয়ে পড়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা তাদের উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছিয়ে দিয়েছে। তাদের অনেকে সবকিছু বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই পথে ব্যার্থ হয়ে সবকিছু হারিয়ে তাদের অনেকে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে পরিবারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এমনই একজন ইভান্স উইলিয়াম। ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর সবকিছুই তিনি বিক্রি করেন। \"আমি অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সবকিছু বিক্রি করেছি। কিন্তু নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরেছি।\" তিনি তার বিছানা, ফ্রিজ, টেলিভিশন, অতিরিক্ত কাপড় থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন পর্যন্ত বিক্রি করে অর্থ যোগাড় করেন। এসব বিক্রি করে সেই অর্থ তিনি দালালদের দিয়েছিলেন। লিবিয়ার কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে নৌকা ভর্তি নাইজেরিয়ার নাগরিকদের আটক করে, যারা অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করেছিল দালালরা তাকে নাইজেরিয়া থেকে সাহারা হয়ে লিবিয়া নিয়ে গিয়েছিল। অবধৈভাবে ইউরোপ নিয়ে যেতে দালালরা তাঁর কাছ থেকে এক হাজার ডলার নিয়েছিল। এ নিয়ে তখন তার কোন দুশ্চিন্তা ছিল না। তার ভাবনায় ছিল, এক সময় ইউরোপ পৌঁছে দ্রুত আয় করা যাবে। ইউরোপে আয়ের অর্থ জমিয়ে বাড়ি ফিরে নিজে ব্যবসা করার স্বপ্নও তাকে পেয়ে বসেছিল। কিন্তু ইভান্স উইলিয়ামের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। লিবিয়ায় ছয় মাসের কঠিন সময় পার করতে তাকে। পাচারকারী চক্র বা দালালরা জোর করে তাকে দিয়ে সেখানে কাজ করায়। বিনিময়ে কোনো অর্থ বা খাবার কিছুই দেয় না। শেষপর্যন্ত সমুদ্র পাড়ি দিতে আরও অনেক অবৈধ অভিবাসীর সাথে তাকে নৌকায় তোলা হয়। তখন লিবিয়ার কোস্টগার্ড তাকেসহ ১৪০জনকে আটক করে বন্দী শিবিরে পাঠায়। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইভান্স উইলিয়ামসহ বাড়ি ফিরে যেতে ইচ্ছুকদের উদ্ধার করে। এরপর ইভান্স উইলিয়াম দক্ষিণ নাইজেরিয়ার বেনিন শহরে বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে বিবিসির সংবাদদাতা তার সাথে কথা বলেছেন। অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টার সময় যাদের উদ্ধার করে নাইজেরিয়ায় আনা হচ্ছে, সেখানে আনার পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইভান্স উইলিয়ামের মতো অন্যরাও কী বাড়ি ফিরতে চায়? ইভান্স উইলিয়াম শেষ পর্যন্ত ইউরোপ যাত্রায় ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল এবং ফিরে আসেন। কিন্তু অনেকেই বাড়ি ফিরতে চায় না। কারণ তাদের বাবা মা বা পরিবার সবকিছু বিক্রি করে অর্থ দিয়েছে। খালি হাতে ব্যর্থতা নিয়ে কিভাবে তারা স্বজনের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে? এই প্রশ্ন তাদের তাড়া করে। ইভান্স এর সাথে একই ফ্লাইটে ছিলেন আবিবু। তার মা তাদের সম্বল একমাত্র জমি বিক্রি করে তাকে অর্থ দিয়েছিল ইউরোপ যাওয়ার জন্য। তিনি বলছিলেন, এখন ব্যর্থ হয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়েছে, সেটা জানলে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়বে। সেজন্য তিনি দেশে ফিরেও বাড়ি যাচ্ছেন না। তিনি যেন মায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে একবার বলেন যে, তিনি অন্তত বেঁচে আছেন। এই পরামর্শে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেছেন, দু'বছর আগে লিবিয়ার একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে তিনি তার মাকে ফোন করেছিলেন। তার মা ধরেই নিয়েছিল যে তিনি দুই বছর ধরে ইউরোপে আছেন। ফলে সেই ফোন কলে খুশি না হয়ে তার মা একটাই প্রশ্ন করেছিলেন, ইউরোপে যাওনি?", "doc2": "Jamilatu et Fatmata Mais contrairement aux idées reçues, ce retour bien que salvateur dans un contexte marqué par l'esclavage des migrants peut avoir un goût amer. En Sierra Leone, les rapatriés sont souvent rejetés par leur famille et leurs amis. Ils sont considérés comme des loosers et des vauriens. Le comble c'est que beaucoup d'entre eux ont volé de l'argent à leurs familles pour financer leur voyage. C'est le cas de Fatmata, une jeune Sierra-léonaise marquée à jamais de sa tentative de rallier l'Europe par des voies détournées. Esclave sexuelle Fatmata éclate en sanglots lorsqu'elle se souvient des six mois qu'elle a passés dans le désert du Sahara comme esclave sexuelle \"d'un nomade touareg\" qui l'a capturée. \"Ils l'appellent Ahmed. Il était si énorme et si méchant\", dit-elle. \"Il m'a dit : \"tu es une esclave, tu es noir. Vous venez de l'enfer. Il m'a dit que quand quelqu'un a un esclave, il peut en faire ce qu'il veut. Pas seulement lui. Parfois, il disait à son ami : Vous pouvez goûter à tout chez moi. Ils me torturaient tous les jours.\" A lire aussi La curieuse 'migration massive' des Ougandais vers l'Inde Ces Afro-Italiens qui veulent renvoyer les migrants chez eux Magic System contre la migration clandestine Côte d'Ivoire, un pays réputé pour son attractivité économique en Afrique. Ce n'était que le début des horreurs que Fatmata, 28 ans, originaire de Freetown, va vivre alors qu'elle tentait de traverser l'Afrique de l'Ouest pour rallier la Méditerranée. Elle s'est finalement échappée de l'emprise d'Ahmed, mais elle a été capturée de nouveau par des trafiquants qui l'ont détenue dans leur prison privée en Algérie. Après son départ et celui d'autres migrants, Fatmata, profondément traumatisée, a décidé d'abandonner ses rêves d'une nouvelle vie en Europe - et de retourner là où elle avait commencé. Elle s'est adressée à l'Organisation internationale pour les migrations (OIM), qui aide les migrants désireux de rentrer chez eux. En décembre dernier, elle est revenue à Freetown, en bus au départ du Mali, après presque deux ans de voyage. Mais il n'y a pas eu de retrouvailles émotionnelles, pas d'accueil, pas d'accolades. Près d'un an plus tard, Fatmata n'a même pas vu sa mère - ou la fille de huit ans qu'elle a laissée derrière elle. \"J'étais si heureuse de revenir\", dit-elle. \"Mais j'aurais préféré ne pas l'avoir fait.\" Kangni Alem : ‘’aucune frontière ne peut empêcher l’être humain de migrer’’ \"Tu devais mourir là ou tu es allée\" Quand elle est revenue, elle a appelé son frère. Mais sa réaction l'a terrifiée. \"Il m'a dit : \"tu n'aurais même pas dû rentrer à la maison. Tu devrais mourir là où tu es allé, parce que tu n'as rien ramené à la maison.\" Après ça, \"je n'ai pas eu le cœur d'aller voir ma mère.\" Mais sa famille ne l'a pas rejetée juste parce qu'elle avait échoué. C'est aussi à cause de la façon dont elle a financé son voyage. Elle a volé 25 millions de leones - environ 2 600 $ US au taux de change d'aujourd'hui - mais une valeur plus élevée au moment de son départ - à sa tante. C'était l'argent que sa tante lui avait donné pour acheter des vêtements, qui pouvaient ensuite être revendus dans le cadre de son commerce. Sa tante lui faisait confiance. Fatmata pensait pouvoir rembourser l'argent qu'elle avait volé. \"Je ne pensais qu'à la façon d'obtenir l'argent et de partir\", dit Fatmata, bien qu'elle ajoute qu'elle n'est pas une personne égoïste. \"Si j'avais réussi à aller en Europe, j'aurais triplé l'argent, je prendrais bien soin de ma tante et de ma mère.\" Mais la tante de Fatmata ne s'est jamais remise de la perte de cet argent : son commerce s'est effondré et cela n'a fait qu'empirer les choses. Le vol a causé un désaccord profond entre la tante et sa sœur, la mère de Fatmata, qu'elle accuse d'être de connivence avec sa fille. Lire aussi \"J'ai très mal, très mal !\" dit sa mère, quand je lui rends visite. \"Le jour où je poserai les yeux sur Fatmata, elle finira au poste de police - et je mourrai.\" Vol de fortes sommes d'argent C'est une histoire qui se répète dans les familles de bon nombre des quelque 3 000 Sierra-Léonais qui sont revenus au cours des deux dernières années après avoir échoué à rallier l'Europe. A une certaine époque, les membres de la famille recueillaient souvent de l'argent pour envoyer quelqu'un en Europe. Mais ils sont moins disposés à le faire maintenant à cause des histoires d'emprisonnement et de décès le long du trajet qui se sont multipliées. Aujourd'hui, de nombreux candidats à l'émigration gardent leurs plans secrets et prennent tout l'argent qu'ils peuvent, parfois même en vendant les titres de propriété de parcelle appartenant à leurs familles. Jamilatu a volé de l'argent qui avait été prêté à sa mère Au siège du Advocacy Network Against Irregular Migration, un groupe de bénévoles qui aide les migrants de retour à reconstruire leur vie, tous les rapatriés que je rencontre ont volé de l'argent à leur famille. Jamilatu, 21 ans, qui s'est échappée avec Fatmata de la prison des trafiquants en Algérie, a pris un sac en plastique contenant une somme d'une valeur de 3.500 dollars dans la chambre de sa mère quand elle était hors de la maison. L'argent n'appartenait même pas à sa mère : il s'agissait de fonds rassemblés dans le cadre d'un programme de microcrédit. Après le départ de Jamilatu, les créanciers furieux ont assiégé la maison de sa mère, menaçant de la tuer si elle ne rendait pas l'argent. Elle a été forcée de fuir Freetown pour Bo, à trois heures de route dans le sud du pays, laissant ses trois autres enfants avec leur père. \"Ma mère ne veut pas me parler à cause de l'argent\", dit Jamilatu. \"Alors depuis mon retour, je ne l'ai pas vue. Et je veux voir ma mère - ça fait plus de deux ans que je ne la vois plus.\" Je rends visite à sa mère, Maryatu, dans sa nouvelle maison à Bo, et après une longue conversation, elle dit qu'elle aimerait revoir Jamilatu, malgré les souffrances qu'elle a causées. Jamilatu est séparée de sa mère depuis plus de deux ans. Mais quand elles se rencontrent, peu de temps après, c'est un moment court, gênant et presque silencieuse. Elles s'enlacent difficilement. Puis Jamilatu s'agenouille devant elle, demandant pardon. Leurs regards se croisent à peine. Ensuite, Jamilatu retourne directement à Freetown. \"Je suis la femme la plus heureuse sur terre aujourd'hui parce que j'ai revu ma mère, dit-elle. Mais elle n'a pas l'air heureuse. Sa mère lui a dit qu'ils ne peuvent plus vivre sous le même toit tant que Jamilatu n'aura pas réuni les fonds nécessaires pour rembourser ses créanciers. C'est difficile de voir comment cela sera possible. Absence de soutien officiel Jamilatu, comme Fatmata, n'a pas de travail. Ils dépendent tous les deux du soutien du Réseau de plaidoyer contre la migration irrégulière. Le groupe a été fondé par Sheku Bangura, lui-même un migrant de retour, qui fait pression sur le gouvernement sierra-léonais pour qu'il en fasse plus pour les rapatriés. En l'absence d'un soutien officiel, il essaie d'apporter lui-même une aide à ceux qui sont rentrés. Il trouve un logement pour les sans-abri, intervient auprès de la police en cas de difficultés des rapatriés et organise un accompagnement psychologique de base. Sheku Bangura a une expérience personnelle des défis auxquels sont confrontés les rapatriés. \"J'ai eu beaucoup de migrants qui ont des problèmes mentaux\", dit-il. \"Ces jeunes, ils sont dans la rue, ils n'ont pas d'endroit pour dormir. Ce n'est pas vraiment facile pour eux.\" Alimamy, 31 ans, a traversé le Sahara, il y a trois ans, après avoir volé et vendu une coûteuse machine à emballer de l'eau appartenant à son oncle. Il est l'un de ceux qui apportent leur aide au Réseau de plaidoyer. L'un de ses deux compagnons de voyage est mort de faim dans le désert. Le second s'est noyé en essayant de traverser la Méditerranée dans un canot pneumatique. Alimamy a fini dans un camp de détention libyen. Il n'a été secouru qu'en novembre 2017 lorsque l'OIM a commencé à organiser des vols de Tripoli en Afrique de l'Ouest pour ceux qui voulaient rentrer chez eux. Émacié et épuisé, il a accepté l'offre d'un billet, mais il était terrifié par l'accueil qu'il allait recevoir. \"Je me disais que je ne devrais pas revenir en Sierra Leone, parce que je sais que mon oncle a un tempérament très sévère\", dit-il. La tentative d'Alimamy pour rejoindre l'Europe s'est terminée dans un centre de détention pour migrants libyens. Depuis son retour, Alimamy vit chez des amis. \"Nous entendons dire qu'il est à Freetown, il souffre. Et pourtant, il n'a pas le cran d'affronter le regard d'aucun d'entre nous ; membre de sa famille\" soutient son frère aîné, Cheikh Umar, ancien footballeur professionnel. Cheikh Umar dit qu'il était proche de son frère, mais s'il le voit, il veillera à ce qu'il soit \"arrêté, poursuivi et condamné\". \"S'il meurt en prison, je n'aurai pas de regrets, je suis sûr qu'aucun membre de sa famille ne le regrettera, à cause de la honte qu'il nous a tous fait subir.\" Il dit que l'entreprise d'emballage d'eau qu'Alimamy a poussé à la ruine aurait pu générer assez d'argent pour faire vivre toute la famille. \"Mais il a gâché cette opportunité et nous sommes tous dans ce pétrin... Notre mère est malade, elle a déménagé dans un village. Où que j'aille maintenant, les gens se moquent de moi. Ce fut le début de nos espoirs. Mais Alimamy a brisé tout ça.\" Frustrations et colère Alimamy lui-même est en colère et frustré. \"Je suis revenu à la maison, sans rien changer dans la vie des miens, comme si j'étais un moins que rien\", dit-il. \"L'endroit où je vis, c'est un enfer pour moi. La façon dont les gens me regardent, je ne me sens pas heureux. Ils me regardent comme si je n'étais pas humain.\" Cheikh Umar dit que sa famille a souffert à cause des actions d'Alimamy. L'OIM offre aux migrants qui retournent volontairement dans leur pays d'origine en Afrique des \"allocations de réintégration\" d'une valeur maximale de 1.500 euros. L'argent provient d'un fonds de 347 millions d'euros financé principalement par l'Union européenne. Mais les allocations ne sont pas payées en liquide. Si c'était le cas, la plupart des gens s'en serviraient simplement pour rembourser leurs proches. L'OIM paie donc des biens ou des services dont les demandeurs peuvent prouver qu'ils ont besoin pour créer une entreprise spécifique. Alimamy a reçu une allocation pour acheter une moto à louer à d'autres conducteurs pour l'utiliser comme taxi. Mais après seulement quatre mois, l'un des conducteurs est parti avec et n'est jamais revenu. Alimamy a lui-même été victime de vol. Quant à Fatmata et Jamilatu, elles n'ont jamais reçu d'allocation parce qu'elles sont revenus du Mali à un moment où d'autres Sierra-Léonais abusaient du système en prenant un bus pour le Mali, en prétendant être revenus de l'autre côté du Sahara et en demandant l'allocation. Tous ceux qui revenaient du Mali ont donc été perdants, y compris Fatmata et Jamilatu. Aujourd'hui, les trois rapatriés participent à des événements de \"sensibilisation\" organisés par le Advocacy Network. Ils sortent dans la rue avec des pancartes et des haut-parleurs pour avertir les autres jeunes des dangers de la migration illégale, et les inciter à rester dans la \"douce Sierra Leone\". Mais pour eux, la maison n'est plus douce ! Tous les trois sont consumés par un sentiment d'inutilité. Fatmata dit : \"Je n'ai rien à offrir, je n'ai rien à montrer. Je ne peux même pas aller voir ma fille, je ne vois que les photos, parce que je n'ai rien à lui donner quand j'arrive là-bas, donc je ne peux pas.\" Alimamy dit que la \"stigmatisation\" qu'il subit l'oblige à faire le contraire de ce qu'il dit dans la rue. Il veut faire une autre tentative pour atteindre l'Europe. \"Rester ici est un enfer pour moi\", dit-il. Je lui rappelle les horreurs qu'il a vécues lors de sa première tentative, étant réduit en esclavage, emprisonné et voyant ses amis mourir. \"Eh bien,\" dit-il, \"J'ai vécu ça, et je suis sûr que je pourrais m'en sortir.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50556416", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50564278", "doc1": "শরীরের দুষিত পদার্থ বের করে দেবার কাজ করে কিডনি। সাধারণত মানব দেহে একটি কিডনির ওজন হয় ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে এটিই সর্বোচ্চ ওজনের কিডনি। এ রোগী এক ধরণের কিডনি রোগে ভুগছিলেন, যার মাধ্যমে সমগ্র কিডনিতে সিস্ট তৈরি হচ্ছিল। অস্ত্রোপচারের সাথে জড়িত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এ ধরণের রোগে যারা ভুক্তভোগী তাদের কিডনির আকার বড় থাকে। দিল্লীর শ্রী গঙ্গা রাম হাসপাতালের চিকিৎসক সাচিন কাঠুরিয়া বলেছেন, রোগীর কিডনিতে সংক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হচ্ছিল। সেজন্যই কিডনি অপসারণ করা হয়েছে। অন্যথায় কিডনি অপসারণের প্রয়োজন হতো না বলে সেই চিকিৎসক জানিয়েছেন। \"এ রোগীর একটি খারাপ ইনফেকশন হয়েছিল যেটি অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ করছিল না। তাছাড়া কিডনির আকার অনেক বড় হওয়ায় তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্য এটি অপসারণ না করে আমাদের উপায় ছিল না,\" বলছিলেন চিকিৎসক সাচিন কাঠুরিয়া। তিনি বলেন, অপারেশনের সময় চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন যে কিডনির আকার বড় হবে। কিন্তু এতো বড় কিডনি তাদের বিস্মিত করেছে। \"তার আরেকটি কিডনি আরো বড়,\" চিকিৎসক সাচিন কাঠুরিয়া বলেন বিবিসিকে। তিনি বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ ওজনের কিডনি ৪.৫ কেজি। যদিও ইউরোলজির বিভিন্ন জার্নালে এর চেয়ে বড় আকারের কিডনির রেকর্ড আছে। আমেরিকায় ৯ কেজি এবং নেদারল্যান্ডসে ৮.৭ কেজি ওজনের কিডনি পাওয়া গেছে।", "doc2": "On pense qu'il s'agit du plus gros rein jamais enlevé en Inde - un rein pèse habituellement entre 120 et 150g. Le patient souffrait d'une maladie appelée maladie autosomique dominante du rein polykystique, qui provoque la croissance de kystes partout dans l'organe. Un médecin impliqué dans l'opération a dit que les gros reins étaient fréquents chez les patients atteints de la maladie. Lire aussi: Cependant, Dr Sachin Kathuria, de l'hôpital Sir Ganga Ram de Delhi, a déclaré que les médecins n'enlèveraient généralement pas l'organe à moins qu'il y ait des symptômes d'infection et de saignement interne, car ils effectuaient au moins certaines fonctions de filtration dans le corps. \"Ce patient avait contracté une mauvaise infection qui ne répondait pas aux antibiotiques, et la taille massive du rein causait des difficultés respiratoires au patient, nous n'avions donc pas d'autre choix que de l'enlever,\" dit-il. Dr Kathuria a ajouté que les médecins s'attendaient à un gros rein lorsqu'ils ont opéré le patient, mais la taille de cet organe les avait quand même surpris. \"Son autre rein est encore plus gros\", a-t-il dit à la BBC. Lire également: Il a dit que le rein le plus lourd d'après le Guinness World Records est de 4,5 kg, bien que les revues d'urologie aient enregistré des reins qui étaient encore plus lourds que celui-ci. Un rein d'un patient aux États-Unis avait pesé 9 kg et un autre aux Pays-Bas avait fait 8,7 kg. Le Dr Kathuria a déclaré que les médecins n'avaient pas encore décidé s'ils devaient soumettre leurs résultats à la commission Guinness en tant que record mondial, mais qu'ils y réfléchissaient. Selon le site Web du SSN, la néphropathie polykystique est une maladie héréditaire courante, qui cause des problèmes lorsque les patients ont entre 30 et 60 ans. Elle détériore la fonction rénale jusqu'à ce qu'elle aboutisse finalement à une insuffisance rénale. Ecouter: Dr Steve Zoungrana,nutritionniste regrette un manque d'éducation thérapeutique en Afrique."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54637809", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54619646", "doc1": "এক লক্ষেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করে ডিজিটালি তাদের গায়ের কাপড় খুলে নেয়াহয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এসব ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটির তৈরি এই রিপোর্টটি আরো জানাচ্ছে যে এসব বিবস্ত্র নারীর অনেকেই অল্পবয়সী। কিন্তু যারা এসব করছে তারা প্রায়ই একে শুধুমাত্র 'বিনোদন' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। বিবিসি এধরনের একটি সফটওয়্যার পরীক্ষা করে দেখেছে। তবে তার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। কিন্তু সেনসিটি দাবি করছে, 'ডিপফেক বট' নামে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের নগ্ন বানানোর কাজ চলছে। ডিপফেক বট প্রযুক্তি দিয়ে যেভাবে নারীকে নগ্ন বানানো হয়। ডিপফেক হলো কম্পিউটারে তৈরি এক ধরনের ছবি বা ভিডিও যা দেখলে ধরা যাবেন না সেটি নকল। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায়ই সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়। তবে সেনসিটির প্রধান নির্বাহী জর্জিও পাত্রিনি বলছেন, সেলেব্রিটিদের ছেড়ে সাধারণ মানুষের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও কিংবা ছবি তৈরি করার ঝোঁক এখন বাড়ছে। \"সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কারো একটি ছবি থাকলেই তাকে নিয়ে এ ধরনের ছবি তৈরি করা সম্ভব,\" বলছেন তিনি। টেলিগ্রাম ডিপফেক বট মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রাইভেট মেসেজিং চ্যানেলে একটি শক্তিশালী এআই বট (রোবট প্রোগ্রাম) ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহারকারীরা এই বটকে কোন নারীর ছবি পাঠাতে পারে। এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বটটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ছবিতে ঐ নারীর দেহ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলতে পারে। এর জন্য টেলিগ্রামের গ্রাহককে কোন অর্থও দিতে হবে না। বিবিসি কয়েকজনের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবির ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু কোন পরীক্ষার ছবিই বাস্তবসম্মত দেখায় নি। এধরনের একটি অ্যাপ গত বছর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে ঐ সফট��য়্যারের একটি ক্র্যাকড ভার্সন এখন আবার ব্যবহার করা হচ্ছে। যে এই সেবাটি দিচ্ছে তার অ্যাডমিন, যিনি নাম ব্যবহার করেন শুধু 'পি', তিনি বলছেন, \"এসব আমি কেয়ার করি না। এটা হচ্ছে শুধুই বিনোদন, এবং এতে কারও কোন ক্ষতি করা হচ্ছে না। \"এটা দিয়ে কেউ কাউকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না। কারণ এসব ছবির মান বাস্তবসম্মত না।\" রুশ ভাষায় ডিপফেক বট-এর বিজ্ঞাপন। আরও পড়তে পারেন: নকল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে 'অর্থ চুরি' জাকারবার্গের ফেক ভিডিও তুলে নিবে না ফেসবুক তিনি আরো জানান, তাদের টিম যে ধরনের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে তার ওপর নজর রাখে। \"যখন আমরা দেখতে পাই যে শিশুদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে তখন আমরা ব্যবহারকারীকে চিরদিনের জন্য ব্লক করে দেই।\" তিনি বলছেন, তবে কেউ যদি এসব ছবি অন্যদের সাথে ব্যবহার করতে চায় সেটা নির্ভর করছে কে ছবিটি তৈরি করেছে তার ওপর। এই ধরনের ছবির তুলনামূলক ক্ষতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, \"যুদ্ধ, রোগবালাইসহ এমন অনেক কিছু আছে যা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর।\" এই বিষয়ে টেলিগ্রামের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। 'শিশু যৌন নির্যাতন' সেনসিটি তার রিপোর্টে বলছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের একই মাস পর্যন্ত প্রায় ১,০৪,৮৫২ নারীর ছবির অপব্যবহার করে ডিজিটাল কায়দায় তাদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। এসব ছবি সোশাল মিডিয়াতে খোলাখুলিভাবে ব্যবহারও করা হয়েছে। প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগুলও ডিপফেক-এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। সংস্থাটির তদন্তে কিছু কিছু ছবি অপ্রাপ্ত বয়স্কদের। \"এর মানে হলো কোন কোন ইউজার এই বট ব্যবহার করে শুধুমাত্র শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও তৈরি করছে।\" সেনসিটি বলছে, রুশ সোশাল মিডিয়া সাইট ভিকে-তে এই বটের প্রচুর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের ওপর এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইউজার রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দেশগুলির বাসিন্দা। তবে ভিকে বলছে, \"তাদের প্ল্যাটফর্মে এধরনের কন্টেন্ট তারা বরদাশত করে না এবং এসব যারা ছড়ায় তারা তাদেরকে ব্লক করে।\" এ বছরের গোঁড়ার দিকে টেলিগ্রামকে রাশিয়ায় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের লেখকরা বলছেন, তারা তাদের সব তথ্য টেলিগ্রাম, ভিকে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন জবাব আসেনি। নি��া শিক 'ডিপফেক অ্যান্ড ইনফোক্যালিপ্স'‌ নামে একটি বইয়ের রচয়িতা। তিনি বলছেন, ডিপফেক কন্টেন্টের নির্মাতারা ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্ব জুড়ে। সেকারণে \"কোন ধরনের আইনগত সুরক্ষা তাদের ধরত পারে না। \"এজন্যেই ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফিক ভিডিওর সংখ্যা প্রতি ছয় মাস পর পর দ্বিগুণ হচ্ছে,\"‍ তিনি বলেন। \"আমাদের বর্তমান আইন ব্যবস্থা এই সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট নয়। প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের ফলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে যে কল্পনা করা যায় না। এসব প্রযুক্তিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে আমাদের সমাজ সে সম্পর্কে এখনও মনস্থির করে উঠতে পারেনি। \"এসব ভুয়া পর্নের যারা শিকার হয়েছেন, তাদের জীবনের ওপর এর প্রভাব একেবারেই বিধ্বংসী। তারা এতটাই অমর্যাদা আর অসম্মানের মুখোমুখি হন যে তাদের জীবন একেবারে ওলটপালট হয়ে যায়।\" গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যই প্রথম কোন রাজ্য যেখানে ডিপফেক প্রযুক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্রিটেনের সরকারও এখন এসংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের কথা চিন্তাভাবনা করছে।", "doc2": "Plus de 100 000 femmes ont vu leurs vêtements retirés numériquement des images Les vêtements sont retirés numériquement sur des photos de femmes au moyen de l'intelligence artificielle (IA), et diffusés sur l'application de messagerie Telegram. Certaines des personnes ciblées \"semblaient être mineures\", selon le rapport de la société de renseignement Sensity. Mais les responsables de ce service ont déclaré qu'il s'agissait simplement de \"divertissement\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Sensity affirme que la technologie utilisée est un \"deepfake bot\". Les deepfakes sont des images et des vidéos générées par ordinateur, souvent réalistes, obtenues à partir d'un modèle réel. Ils ont été utilisés entre autres pour créer de faux clips vidéo pornographiques de célébrités. Mais le directeur général de Sensity, Giorgio Patrini, a déclaré que le passage à l'utilisation de photos de personnes privées est relativement récent. \"Il suffit d'avoir un compte sur les médias sociaux avec des photos publiques pour devenir une cible\", a-t-il prévenu. Bot Telegram Le bot, qui fonctionne grâce à une intelligence artificielle, vit à l'intérieur d'une chaîne de messagerie privée Telegram. Les utilisateurs peuvent envoyer au bot une photo d'une femme, et le bot enlèvera numériquement ses vêtements en quelques minutes, sans frais. La BBC a testé plusieurs images, toutes avec le consentement des sujets, et aucune n'était totalement réaliste - nos résultats comprenaient la photo d'une femme avec un nombril sur son diaphragme. Une application similaire a été arrêtée l'année dernière, mais on pense qu'il existe des versions piratées du logiciel en circulation. L'administrateur qui gère le service, connu seulement sous le nom de \"P\" a déclaré : \"Je ne m'en soucie pas tant que ça. C'est un divertissement qui ne comporte pas de violence. Personne ne fera de chantage avec ça, car la qualité est irréaliste.\" Il a également déclaré que l'équipe examine les photos qui sont partagées, et \"quand nous voyons des mineurs, nous bloquons l'utilisateur pour de bon\". Des illustrations du rapport montrent comment l'envoi d'un message au robot entraîne le renvoi d'une version modifiée Mais la décision de partager ou non la photo avec d'autres personnes revient à celui qui a utilisé le robot pour la créer au départ, a-t-il dit. Défendant son niveau de nocivité relatif, il a ajouté : \"Il y a des guerres, des maladies, beaucoup de choses mauvaises qui sont nocives dans le monde\". Il a également affirmé qu'il supprimera bientôt toutes les images. Telegram n'a pas répondu à une demande de commentaires. Lire aussi : 'Contenu pédophile' Sensity a rapporté qu'entre juillet 2019 et 2020, environ 104 852 femmes ont été ciblées et ont eu des images de nudité de faux nus partagées publiquement. Son enquête a révélé que certaines de ces images semblaient mineures, \"suggérant que certains utilisateurs utilisaient principalement le bot pour générer et partager du contenu pédophile\". Sensity a déclaré que le bot avait fait l'objet d'une publicité importante sur le site russe de médias sociaux VK, et une enquête sur la plateforme a montré que la plupart des utilisateurs étaient de Russie et des pays de l'ex-URSS. Mais VK a dit : \"Il ne tolère pas de tels contenus ou liens sur la plateforme et bloque les communautés qui les distribuent\". Telegram a été officiellement interdit en Russie jusqu'au début de cette année. \"Beaucoup de ces sites web ou applications ne se cachent pas ou ne fonctionnent pas dans la clandestinité, car ils ne sont pas strictement interdits\", a déclaré Giorgio Patrini, de Sensity. \"Jusqu'à ce que cela arrive, j'ai peur que cela ne fasse qu'empirer\". Lire aussi : Les auteurs du rapport affirment qu'ils ont fait part de toutes leurs conclusions à Telegram, VK et aux organismes d'application de la loi concernés, mais n'ont pas reçu de réponse. Nina Schick, auteur du livre Deep Fakes and the Infocalypse, a déclaré que les créateurs de deepfake étaient partout dans le monde et que les protections juridiques \"rattrapaient\" la technologie. \"Ce n'est qu'une question de temps avant que ce contenu ne devienne plus sophistiqué\". Le nombre de vidéos pornographiques \"deepfake\" semble doubler tous les six mois\", a-t-elle déclaré. \"Nos systèmes juridiques ne sont pas adaptés à cette question. La société change plus vite que nous ne pouvons l'imaginer en raison de ces progrès technologiques exponentiels, et nous n'avons pas décidé, en tant que société, comment réglementer cela. \"C'est dévastateur, pour les victimes du faux porno. Cela peut complètement bouleverser leur vie parce qu'elles se sentent violées et humiliées\". L'année dernière, l'État américain de Virginie a été l'un des premiers à interdire les faux. La loi britannique actuelle sur les fausses images de nu a récemment été critiquée pour son \"incohérence, sa désuétude et sa confusion\" dans un rapport universitaire. Malgré les progrès réalisés sur des questions telles que le porno de vengeance et la renaissance de l'image, \"il reste de nombreuses lacunes flagrantes dans la loi\", déclare Lucy Hadley de l'organisation caritative Women's Aid. Si ces statistiques montrent à quel point les images truquées peuvent être répandues, il ne s'agit pas actuellement d'une infraction spécifique. Le gouvernement a chargé la Commission juridique de revoir la loi sur cette question en Angleterre et au Pays de Galles. Ses conclusions sont attendues en 2021."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46290951", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-46292253", "doc1": "ভাত-মাংসের ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি রান্না। মহিলাটি তার প্রেমিককে হত্যার পর এভাবেই রান্না করেন। কৌঁসুলিরা বলছেন, এই মহিলা - যার বয়েস ত্রিশের কোঠায় -তার প্রেমিককে হত্যা করেন তিন মাস আগে। তবে এই অপরাধের কথা জানা যায় অতি সম্প্রতি, যখন তার রান্নাঘরে ব্লেন্ডারের ভেতর মানুষের একটি দাঁত পাওয়া যায়। আমিরাতের দি ন্যাশনাল নামের দৈনিক পত্রিকা এক রিপোর্টে বলেছে যে মহিলাটি পুলিশের কাছে এ কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন। আল আইন শহরের মহিলাটির সাথে সাত বছর ধরে নিহত ব্যক্তিটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে যখন ওই ব্যক্তি তাকে বলেন যে তিনি মরোক্কোতে আরেক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পুলিশ প্রকাশ না করলেও, জানিয়েছে যে লোকটির মাংস এবং ভাত দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পদ রান্না করে ওই এলাকায় পাকিস্তানী শ্রমিকদের খাইয়েছেন ওই মহিলা। মহ��লার ভাষায়, সেটা ছিল একটা 'পাগলামি'র মুহূর্ত। হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বলেও দুবাই-ভিত্তিক গালফ নিউজ জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, হত্যার পর তিনি তার ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে এক বন্ধুর সাহায্য নেন। অভিযুক্ত মহিলাকে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবরে বলা হয়। জানা যায়, নিহত ব্যক্তির খোঁজে তার ভাই মহিলাটির ফ্ল্যাটে যান, মহিলাটি তাকে বলেন যে তার ভাইকে তিনি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পরে তার ভাই ঘরের ব্লেন্ডারের ভেতর একটি মানুষের দাঁত দেখতে পান। পরে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে দাঁতটি নিখোঁজ ব্যক্তিরই। ঘটনাটির এখন তদন্ত চলছে, এবং এর পর মহিলাটিকে বিচারের জন্য আদালতে আনা হবে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৫০০ গ্রেফতার: বিএনপি সরাসরি ভোটের লড়াই করে এমপি হতে চান যে নারীরা তারেক রহমান কী প্রশ্ন করেছেন বিএনপি প্রার্থীদের? পুরুষেরা যে কারণে মেয়েদের কাছে যৌনাঙ্গের ছবি পাঠায়", "doc2": "La femme a servi les restes de son petit ami dans un plat traditionnel émirati comme celui-ci La femme a tué son petit ami, il y a trois mois, disent-ils, mais le crime n'a été découvert que récemment lorsqu'une dent humaine a été trouvée dans son mixeur. Elle a avoué à la police qu'il s'agissait d'un moment de \"folie\", selon le journal d'Etat The National. La femme, qui a la trentaine, sera jugée dans l'attente d'une enquête. Lire aussi:Maroc: \"le leader de la contestation violenté\" Elle était en relation avec la victime depuis sept ans. Selon le National, elle l'a tué après qu'il lui ait dit qu'il avait l'intention d'épouser quelqu'un d'autre. Bien que la police n'ait pas révélé comment il a été tué, elle a affirmé que la femme avait servi la dépouille mortelle comme un plat traditionnel de riz et de viande à des ressortissants pakistanais travaillant à proximité. La découverte n'a été faite que lorsque le frère de la victime est allé le chercher chez eux, dans la ville d'Al Ain, qui se trouve à la frontière avec Oman. Lire aussi: Maroc : une startup kényane distinguée Là-bas, il a trouvé une dent humaine dans un mixeur, rapporte le journal. L'homme a ensuite signalé la disparition de son frère à la police, qui a effectué des tests ADN sur la dent et a confirmé qu'elle appartenait à la victime. Selon la police, la femme a d'abord dit au frère qu'elle avait expulsé la victime de la maison. Mais Gulf News, basée à Dubaï, a déclaré qu'elle s'était effondrée par la suite et avait admis le meurtre après avoir été interrogée par la police. Elle aurait dit qu'elle avait demandé l'aide d'une amie pour nettoyer son appartement après le meurtre."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51410350", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51402062", "doc1": "লি ওয়েনলিয়াং নামে ওই চিকিৎসক উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে কাজ করার সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, সেখান থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। লি ওয়েনলিয়াং নামে ওই চিকিৎসক উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে কাজ করার সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি ৩০শে ডিসেম্বর সহকর্মীদের কাছে একটি সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাকে \"মিথ্যা ম���্তব্য করা\" বন্ধ করতে বলে। তার মৃত্যুর বিষয়ে পরস্পরবিরোধী সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু পিপলস ডেইলি এখন জানিয়েছে যে শুক্রবার তিনটার দিকে তিনি মারা যান। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে ভাইরাসটির প্রকোপে এখন পর্যন্ত ৬৩৬জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩১ হাজার ১৬১জন। বৃহস্পতিবারই ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে শ্বাসযন্ত্রে তীব্র সংক্রমণ দেখা দেয় এবং এর লক্ষণগুলো সাধারণত জ্বর দিয়ে শুরু হয় এবং এর পরে হয় শুকনো কাশি। সংক্রামিত বেশিরভাগ মানুষই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন - ঠিক যেমন তারা ফ্লু বা জ্বর থেকে সেরে ওঠেন। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? করোনাভাইরাসের কারণে চাপা আতঙ্কের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষ। কীভাবে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল? গ্লোবাল টাইমস, পিপলস ডেইলি এবং অন্যান্য চীনা গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার ডা. লি-এর মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। ৩৪ বছর বয়সী ডা. লিকে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রাথমিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই খবরটি চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে ঝড় তুলে দেয়। ওয়েইবো অনেকটা টুইটারের মতো। এই খবরে সেখানে প্রচুর মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। পিপলস ডেইলি একটি টুইট করে করে জানিয়েছে যে ডা. লি এর মৃত্যু \"জাতীয় শোক\" ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে গ্লোবাল টাইমস তখনও বলেছিল যে ড. লি'কে 'ইসিএমও (এক্সট্রা-কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন)' নামে পরিচিত একটি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে একজন রোগীর হার্টকে পাম্প করে সচল রাখা হয় এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিবহন বজায় রাখা হয় যেন তা ফুসফুসের মধ্যে চলে না যায়। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছিল যে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক এবং চিকিৎসকরা, যারা তাদের নাম ব্যবহার করতে চান না, তারা বিবিসি এবং অন্যান্য মিডিয়াকে বলেছেন যে সরকারি কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করেছেন। সরকারী সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলা হয়েছে যেন তারা তাদের প্রতিবেদন পরিবর্তন করে এবং জানায় যে, ডা. লিকে এখনও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে সংবাদমাধ্যমগুলো ডা. লি'র মৃত্যুর নতুন সময়টি জানায়: চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, করোনাভাইরাস দ্বারা নিহতদের বেশিরভাগ���র বয়স ৬০ বছরের উপরে। যারা অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে ডা. লি এর মেডিকেল ইতিহাস জানা যায়নি। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানের সব গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লি ওয়েনলিয়াং এর গল্প চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. লি করোনাভাইরাস নিয়ে তার প্রাথমিক সতর্কবার্তা পাঠানোর এক মাস পরে তিনি হাসপাতালের বিছানা থেকে ওয়েইবোতে তাঁর গল্প পোস্ট করেন। তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাতটি ঘটনা লক্ষ্য করে দেখতে পান যে সেটি অনেকটা সার্সের মতো - যে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী মহামারী তৈরি হয়েছিল। ৩০শে ডিসেম্বর তিনি একটি চ্যাট গ্রুপে তার সহকর্মী ডাক্তারদের একটি সতর্ক বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি সবাইকে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরার কথা বলেন। চার দিন পরে তাকে জননিরাপত্তা ব্যুরোতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছিল। ওই চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে \"মিথ্যা মন্তব্য করার\" অভিযোগ করা হয় যা \"সামাজিক শৃঙ্খলাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করেছে\"। তিনি ওই আটজনের মধ্যে একজন ছিলেন যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ \"গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার\" অভিযোগে তদন্ত করেছিল। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডা. লি'র কাছে ক্ষমা চান। ডা. লি তার ওই ওয়েইবো পোস্টে ব্যাখ্যা করেন যে ১০ই জানুয়ারি তিনি কীভাবে কাশি শুরু করেন, পরের দিন তার জ্বর হয় এবং দুদিন পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৩০শে জানুয়ারী তার শরীরে সনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। চীনে সবাইকে সতর্ক হয়ে চলতে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চীনে ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি চীন এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বেইজিংয়ে জন্মদিন এবং বিবাহের মতো অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের একসাথে খাওয়া দাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হ্যাংঝৌ এবং নানচাং-এর মতো শহরগুলোয় যেসব পরিবার থাকেন, প্রতিদিন এসব পরিবারের কতজন সদস্য বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন তা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। হুবেই প্রদেশের বাসিন্দাদের বাইরে দিকে যেতে নিরুৎসাহিত করার জন্য উঁচু উঁচু ভবনগুলো লিফট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরটির এক প্রবীণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উহানের বিছানা ও সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। দুটি হাসপাতাল দ্রুত নির্মাণ করা সত্ত্বেও, রোগীদের ভলিউম মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত প্���তিবেদনে বলা হয়েছে যে উহান সরকার বাসিন্দাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে। চংকিংয়ের জন্য বরাদ্দ একটি মাস্কের চালান ইউনান প্রদেশের ডালি শহর সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। ডালির সরকার বলছে যে বাক্সগুলি ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেছে, তাদের এখন কিছুই করার নেই। কিংদাও এবং শেনইয়াং শহরও এই মেডিকেল চালান নিয়ে এক অপরের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে চীন \"হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জন স্বাস্থ্য সুরক্ষার চেষ্টা করছে\"। এদিকে, হংকংয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার বাজারে মানুষ আতঙ্ক চোখে পড়ে। টয়লেট রোলসহ মাস্কের মতো পণ্য ক্রয়ে বিশাল লাইন দেখা যায়। কোয়ারেন্টিন কী , কেন, কীভাবে করা হয়? সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? এই ভাইরাসটি চীনের বাইরে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রায় ২৫টি দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনও পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে মাত্র দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে - একটি হংকং এবং একটি ফিলিপিন্সে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে, প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় যদি এখনই তহবিল বরাদ্দ করা না হয় তাহলে পরে আক্রান্ত দেশগুলোকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। করোনাভাইরাস: এটি শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে চীনের সরকারী পরিসংখ্যানে ৩১ হাজার সংক্রমণের খবর বলা হলেও, কিছু বিজ্ঞানী অনুমান করেছেন যে প্রকৃত হার এর ১০ গুণ বেশি হতে পারে। কেননা এতে সংক্রামিত বেশিরভাগ লোকের মধ্যেই হালকা কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এজন্য তারা চিকিৎসা গ্রহণ করে না, কিন্তু তারা মারাত্মক এই রোগটি ছড়িয়ে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে তৃতীয় কারও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজের প্রায় ৩৭০০ যাত্রীকে দুই সপ্তাহ ধরে কোয়ারান্টিন করে রেখেছে জাপান। তারা ওই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। চীনের বাইরে অন্তত ২৫টি দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার, জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে যে ওই জাহাজে নতুন করে ৪১জনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১জনে। ফিয়াট, ইউরোপ কার প্রকল্পকে করোনাভাইরাস ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে হংকংয়ে ৩৬০০ যাত্রী ও ক্রু সহ আরেকটি ক্রুজ জাহাজকে কোয়ারান্টিন করে রাখা হয়েছে। কারণ ওই জাহাজে তিনজনের ভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।", "doc2": "Le Dr Li a publié une photo de lui sur les réseaux sociaux depuis son lit d'hôpital Li Wenliang travaillait comme ophtalmologue à l'hôpital central de Wuhan quand il a envoyé une alerte à ses collègues médecins le 30 décembre. La police lui a alors rendu visite pour lui dire d'arrêter, alors que les autorités tentaient de garder la nouvelle secrète. \"Nous espérons que vous pourrez vous calmer et réfléchir à votre comportement\", a déclaré la police dans la lettre à Dr Li. Le virus a maintenant tué plus de 560 personnes et infecté 28 000 en Chine. Le coronavirus provoque une infection respiratoire aiguë sévère et les symptômes commencent généralement par une fièvre, suivie d'une toux sèche. La plupart des personnes infectées sont susceptibles de se remettre complètement tout comme elles le feraient d'une grippe. Quelle est l'histoire de Li Wenliang? L'ophtalmologue a publié son histoire sur le site de Weibo depuis un lit d'hôpital un mois après avoir envoyé sa première alerte sur le virus. Le Dr Li, 34 ans, avait remarqué sept cas de virus qui, selon lui, ressemblaient à Sars, le virus qui a conduit à une épidémie mondiale en 2003. Après être tombé malade, le Dr Li a déclaré sur Weibo qu'il se demandait pourquoi les autorités continuaient de dire qu'aucun personnel médical n'avait été infecté Le 30 décembre, il a envoyé un message à d'autres médecins d'un groupe de discussion les avertissant de porter des vêtements de protection pour éviter l'infection. Quatre jours plus tard, il a été convoqué au Bureau de la sécurité publique où il lui a été demandé de signer une lettre. Dans la lettre, il était accusé de \"faire des fausses déclarations\" qui avaient \"gravement perturbé l'ordre social\". Il était l'une des huit personnes qui, selon la police, faisaient l'objet d'une enquête pour \"propagation de rumeurs\". Les autorités locales se sont ensuite excusées auprès de Dr Li. Le Dr Li Wenliang a été accusé de répandre des rumeurs Dans son article sur Weibo, il décrit comment le 10 janvier il a commencé à tousser, le lendemain il a eu de la fièvre et deux jours plus tard, il était à l'hôpital. Il a été diagnostiqué avec le coronavirus le 30 janvier. Un certain nombre de publications sur les réseaux sociaux chinois ont exprimé leur chagrin suite à sa mort. Quelles sont les dernières informations sur le virus en Chine? La Chine introduit des mesures plus restrictives pour tenter de contrôler l'épidémie. Pékin a interdit les repas de groupe pour des événements tels que les anniversaires et les mariages tandis que des villes comme Hangzhou et Nanchang limitent le nombre de membres d'une famille qui peuvent quitter la maison chaque jour. Lire aussi : La province du Hubei, la plus touchée par le virus, a coupé les ascenseurs des immeubles de grande hauteur pour décourager les résidents de sortir. Sa capitale, Wuhan, manque de lits et d'équipements, a déclaré un haut responsable de la ville. Malgré la construction rapide de deux hôpitaux, le volume de patients est à l'origine de graves tensions. Selon des médias chinois, le gouvernement de Wuhan doit effectuer des contrôles de température porte-à-porte sur les résidents."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43681302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-43654172", "doc1": "সালমান খান জেলে যাওয়ার দুদিনের মধ্যেই জামিন পেয়েছেন। আর তার পরের দিনই তাঁর জামিনে মুক্তির আবেদনের শুনানি শুরু হয় জেলা দায়রা জজের এজলাসে। কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি কি কোনও সাধারণ নাগরিকের জামিন-মামলার শুনানি শুরু হয়? না কি সুপারস্টার, ভি আই পি বলেই সালমান খানের জামিনের আবেদন পেশ হওয়ার দুদিনের মধ্যেই সেই আবেদন মঞ্জুর করে দিল আদালত? সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি আলোক কুমার বলছিলেন, \"এটা ঠি���ই যে সারা দেশের সব আদালতেই বহু মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, যার মধ্যে জামিনের আবেদনও অনেক দিন ধরে ঝুলে থাকে। একজন উকিল হিসাবে বলতে পারি এই দীর্ঘসূত্রিতার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।\" \"যদি উকিল বুদ্ধিমান হন, তাহলে মূল মামলার আদেশ বেরনোর আগেই জামিনের আবেদন তৈরী করে ফেলেন তিনি। সাজা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জামিনের আবেদন জানিয়ে দিতে পারেন তিনি। কিন্তু বেশীরভাগ উকিলই সেটা করেন না। আদালত কী নির্দেশ দেয় সেটা দেখে তারপর পুরো রায় পড়ার জন্য সময় নেন তারা। তারপরে জামিনের আবেদন জানানো হয়। এতেই অনেকটা সময় চলে যায়,\" বলছিলেন মি. আলোক কুমার। আরো পড়ুন: বেপরোয়া জীবনযাপন করা সুপারস্টার সালমান খান সালমান খান তবে কোনও বিচারক কবে জামিনের আবেদন শুনবেন, সেটা ঠিক করার অধিকার তাঁর রয়েছে। সেই অধিকার কখনও ব্যবহার করা হয়, কখনও করা হয় না, মন্তব্য আলোক কুমারের। আরেক সিনিয়র আইনজীবি সঞ্জয় হেগড়ে বলছিলেন, \"সালমান খানের জামিন মামলার যে দ্রুত শুনানি হয়েছে, এটাই তো স্বাভাবিক। এটা আদালতের বিশেষ অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তবে এমন মামলাগুলির ক্ষেত্রে অনেক সময়েই বিচারকরা চাপে পড়ে যান - বিশেষত যদি সংবাদমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও মামলা নিয়ে খুব বেশী উৎসাহ থাকে, সেই সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে দিতে চান তারা।\" ঠিক এই বিষয় নিয়েই ২০০৪ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিল। অমরাবতী বনাম উত্তর প্রদেশ সরকারের মধ্যে ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছিল, কোনও জামিন আবেদনের ওপরে সেই দিনই আদেশ দিতে হবে, এমন নির্দেশ যদি হাইকোর্ট থেকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা নিম্ন আদালতগুলির কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে। ভারতীয় ফৌজদারী কার্যবিধি বা ক্রিমিন্যাল প্রসিডিওর কোডের ৪৩৭ আর ৪৩৯ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটদের এই অধিকার দেওয়া হয়েছে যে তিনি জামিন আবেদন পেশ হওয়ার দিনেই ‌আদেশ দিয়ে দিতে পারেন। তবে সেই দিন যদি জামিনের আবেদনের ওপরে কোনও নির্দেশ তিনি না দেন, তাহলে তার কারণ লিখিতভাবে রেকর্ড করে রাখতে হবে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে। আলোক কুমার বলছিলেন, \"শুধু নিম্ন আদালতে নয়, সুপ্রীম কোর্টেও জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানিতে অসামঞ্জস্য দেখা যায়। কোনও মামলায় হয়তো চার বছরেও জামিন পাওয়া যায় নি, আবার একই ধরণের অন্য একটি মামলায় দেখা গেছে চার মাসেই জা���িন পাওয়া গেছে।\" \"তবে একই সঙ্গে এরকম উদাহরণও আছে, যেখানে জেলা আদালত বা হাইকোর্ট গরীব বা সাধারণ কোনও ব্যক্তির মামলাকে অন্যান্য মামলার থেকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কিন্তু এটাও ঘটনা, কোনও সিনিয়র আইনজীবির দায়ের করা মামলায় হয়তো তাড়াতাড়ি শুনানির দিন ধার্য হল, আর জুনিয়র উকিলদের মামলার ক্ষেত্রে বলা হল আগে থেকেই অনেক মামলা জমে রয়েছে আদালতে,\" বলছিলেন আলোক কুমার। বন্দী সালমান খানের জন্য বাইরে ভক্তদের ভিড় সুপ্রীম কোর্টেরই সিনিয়র আইনজীবি প্রশান্ত ভূষণ অবশ্য বলছিলেন সালমান খানের মামলায় নিয়মের বিশেষ ব্যতিক্রম হয় নি। জামিন মামলার দ্রুত শুনানি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। \"যে কোনও জামিনের আবেদনই দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কিন্তু সাধারণভাবে দেখা যায় যে গরীব মানুষের ভাগ্যে এরকমটা হয় না। ব্যবস্থাটাই এরকম হয়ে গেছে। ভি আই পিদের হাতে বড় বড় উকিল থাকে, তাঁদের হাতে অর্থ থাকে, প্রভাব থাকে। তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়াটা সুবিধাজনক।\" ভি আই পিদের মামলাগুলির ক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্টও দুবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। ২০১৩ সালে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি বি এস চৌহান বলেছিলেন, ভি আই পিরা আদালতের বেশী সময় নিয়ে নেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মামলাগুলির জন্য সময় কম পড়ে যায়। \"আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, সাধারণ মানুষ আমাদের কাছ থেকে কম সময় পান। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক,\" মন্তব্য ছিল ওই বিচারপতির। ২০১৪ সালেও সর্বোচ্চ আদালত আরেকটি ভি আই পি মামলাতেও যে মন্তব্য করেছিল, সেটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। হরিয়াণা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওম প্রকাশ চৌথালার জামিন আবেদনের শুনানিতে বলা হয়েছিল যে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তাঁর জামিনের সময় বাড়ানো হোক। বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ওই আবেদনের শুনানিতে মন্তব্য করেছিলেন, \"যখনই কোনও নামজাদা ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হন, তখনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চান। এই ব্যাপারটাতে উৎসাহ দিলে গোটা ব্যবস্থাটাই ভেঙ্গে পড়বে।\"", "doc2": "Salman Khan en train de danser à une scène théâtrale. Un tribunal de l'Etat de Rajasthan, situé dans l'ouest de l'Inde, l'a déclaré coupable d'avoir chassé de rares antilopes en 1998. Ce jugement marque un nouveau rebondissement dans la carrière de cette célébrité. Salman Khan est l'un des acteurs les plus en vue de l'industrie cinématographique de Bombay. Malgré les écarts de comportement, Salman Khan ne semble pas perdre en popularité auprès de ses dizaines de millions de fans. \"Le tribunal a donné cinq ans de prison et une amende de 10.000 roupies (125 euros) à Salman Khan. Le mandat d'arrêt est en préparation et il sera envoyé à la prison centrale de Jodhpur\", a déclaré à la presse Mahipal Bishnoi, avocat d'une communauté locale partie civile dans le procès. Devant le tribunal, l'acteur de 52 ans a plaidé non coupable. Il pourrait toutefois échapper à une incarcération immédiate en faisant appel dans la foulée, ce qui aurait pour effet de suspendre la peine. Salman Khan au milieu d'un groupe de fans Salman Khan défraye la chronique médiatique indienne depuis des années, par ses écarts de comportement. Il ne semble pas pour autant perdre en popularité auprès de ses dizaines de millions de fans. Sa dernière grosse production, \"Tiger Zinda Hai\" (\"Le tigre est en vie\"), a engrangé quelque 85 millions de dollars à travers le monde. Selon le magazine Forbes, Salman Khan a gagné 37 millions de dollars en 2017, ce qui fait de lui le deuxième acteur le mieux payé de Bollywood derrière Shah Rukh Khan."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47810027", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47818121", "doc1": "বাবার জমি নিয়ে যখন দ্বন্দ্ব শুরু হয় তখন জর্ডান কিনইয়েরার বয়স ছিল ৬ ১৮ বছর পড়ালেখা এবং আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর একজন আইনজীবী হয়ে বাবার বেদখল হয়ে যায়া জমি পুনরুদ্ধার করেছেন উগান্ডার জর্ডান কিনইয়েরা। সোমবার হাইকোর্টের দেয়া রায় তার পরিবারের পক্ষে যায়। বিবিসিকে মি. কিনইয়েরা বলেন, তার বয়স যখন ৬ বছর, সেসময় তার পরিবার জমির মালিকানা হারায় এবং ঐ ঘটনা তার জীবন চিরতরে বদলে দিয়েছিল। \"আমি আইনজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই অনেক পরে, কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল আমার শৈশবে দেখা ঘটনাগুলো।\" মি. কিনইয়েরা বলেন, \"জমি সংক্রান্ত বিরোধের আইনি কার্যক্রম চলার সময় আমার পরিবার যেই হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তা আমাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে।\" ১৯৯৬ সালে প্রতিবেশীরা মি. কিনইয়েরার বাবার নামে আদালতে অভিযোগ করে এবং মামলাটি প্রায় দুই দশক যাবত আদালতে বিচারাধীন ছিল। \"সেসময় আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন। কাজেই আর্থিকভাবে তিনি খুব একটা সচ্ছল ছিলেন না। ঐ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তিনি মরিয়া ছিলেন।\" \"একজন মানুষ যখন মরিয়া থাকে এবং তার কিছু করার থাকে না, তখন ঐ ব্যক্তির জন্য খুবই অমানবিক একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে আইনজীবী হওয়ার পেছনে।\" মি. কিনইয়েরা বলেন, \"ন্যায়বিচার বিলম্বিত হওয়া মানেই ন্যায়বিচার বঞ্চিত হওয়া। আমার বাবার বর্তমান বয়স ৮২ এবং এই জমি দিয়ে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তিনি যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকে শুরু করতে হবে তার সন্তানদের।\" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যেভাবে রাতারাতি ইউটিউব তারকা হলেন এক তরুণী যে কারণে বাকশাল নিয়ে এত বিতর্ক বাংলাদেশী টিভি অনুষ্ঠানে দর্শকদের অনীহা কেন 'সুন্দর' হতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলা নারীরা জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনা উগান্ডায় ব্��াপক পরিমাণে ঘটে থাকে। আইনি প্রচারণা সংস্থা নামাতি'র তথ্য অনুযায়ী, জমিরা মালিকদের ৩৩ থেকে ৫০ ভাগই এরকম দ্বন্দ্বের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত উগান্ডানদের অনেকে কয়েক বছর ক্যাম্পে থেকে ফিরে আসার পর আবিষ্কার করেন যে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছে। মি কিনেইয়েরা বিবিসিকে বলেন, \"এই সমস্যা এতই বিস্তৃত যে হাইকোর্টের একটি পূর্ণ শাখাই নিয়োজিত এই জাতীয় দ্বন্দ্ব মিটানোর জন্য।\"", "doc2": "Jordan Kinyera avait six ans lorsqu'un procès a été intenté à son père pour le déposséder de ses terres. Jordan Kinyera n'avait que six ans lorsque sa famille s'est vu retirer ses terres. Après 18 ans passés entre l'école et l'université, où il a fait ses études de droit, M. Kinyera devient avocat. Il prend en main l'affaire qui était pendante devant la justice pendant deux décennies et intente un procès à ceux-là qui avaient dépossédé son père des terres de la famille. Lundi, la Haute Cour de l'Ouganda a rendu un jugement définitif en faveur des Kinyera. Lire aussi : Le jeune avocat a déclaré à la BBC que la perte des terres avait changé sa vie. \"C'est plus tard que j'ai eu l'ambition de devenir avocat, mais surtout en raison des événements dont j'ai été témoin, des frustrations vécues par ma famille pendant le procès et de la façon dont cela nous a affectés\", a-t-il expliqué. Son père a été poursuivi en justice par des voisins en 1996. Lire aussi : \"Mon père était à la retraite. Il n'avait pas beaucoup de ressources. Il ne gagnait rien à l'époque. Il était désespéré. Il y a quelque chose qui vous prive de votre humanité devant une situation comme celle-là, quand vous n'êtes pas capable de faire quelque chose. C'est ce qui m'a le plus motivé\", raconte Jordan Kinyera. \"Je suis heureux pour mon père, qui n'a pas planté une seule graine, ni posé une seule brique pendant 23 ans\", se souvient-il, ajoutant que l'exploitation des terres récupérées reviendra aux plus jeunes de la famille, son père étant maintenant âgé de 82 ans. Les litiges fonciers sont tellement fréquents en Ouganda qu'une unité a été spécialement mise en place au sein de la Haute Cour pour les trancher."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43771851", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-43739099", "doc1": "যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের মধ্যে এই অ্যাথলেটও রয়েছেন এসব অ্যাথলেটদের বেশিরভাগই এসেছিলো ক্যামেরুন থেকে । তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট এক কথায় একে 'পলায়ন' হিসেবে বর্ণনা করেছে। গোল্ড কোস্ট আয়োজকরা বলছেন নিখোঁজ অন্য অ্যাথলেটরা এসেছিলেন উগান্ডা, সিয়েরা লিওন ও রুয়ান্ডা থেকে। তবে এ ধরনের বড় গেমস থেকে অ্যাথলেট হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ধারণা করা হয় উন্নত দেশগুলোতে গেমসে এসে এভাবে পালিয়ে যাওয়ার একটাই কারণ- আর তা হলো উন্নত জীবনের স্বপ্ন। ২০০৬ সালে মেলবোর্নে কমনওয়েলথ গেমস চলাকালে অন্তত ৪০জন অ্যাথলেট ও কর্মকর্তা হারিয়ে গিয়েছিলো। পরে তাদের কয়েকজন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে। তারও আগে ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার গেমস থেকে হারিয়েছিলো ২৬ জন। একই ধরণের ঘটনা ঘটে অলিম্পিকের সময়েও। পাওয়া যাচ্ছেনা এই অ্যাথলেটকেও ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক থেকে হারিয়েছিলো ২১ জন অ্যাথলেট ও কোচ। সিডনীতে ২০০০ সালের অলিম্প��কে এসে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্নের পরেও অবস্থান করেছিলেন অন্তত একশ জন- যার মধ্যে ছিলেন অ্যাথলেট, কর্মকর্তা, কোচ ও ডেলিগেশন সদস্য। তবে উন্নত দেশে এসে এভাবে হারিয়ে যাওয়ার আরও বড় ঘটনা হয়েছে ফ্রান্সে, ২০১১ সালে। ওই সময় সেনেগালের পুরো একটি ফুটবল দল হোটেল থেকে হাওয়া হয়ে যায়। তবে এবার গোল্ড কোস্ট আয়োজকরা বলছেন নিখোঁজ অ্যাথলেটদের খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন তারা। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অবস্থান করা নিয়ে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন বলছে তারা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তবে ভিসা থাকলে অ্যাথলেটদের মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার রয়েছে। আরও পড়ুন সিরিয়ায় হামলা কি আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ? পশ্চিমা ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর আসাদ এখন কোথায়?", "doc2": "Ces athlètes sont originaires du Rwanda de la Sierra Leone et d'Ouganda. Ils portent à 13 le nombre total des athlètes manquants, selon les organisateurs des Jeux. Ces athlètes sont originaires du Rwanda de la Sierra Leone et d'Ouganda. Cette nouvelle disparition survient après celle de huit athlètes camerounais mercredi. Jeux du Commonwealth: huit athlètes camerounais introuvables \"Nous avons un service spécialisé autour des visas, mais tant que personne n'aura formellement dépassé la date d'expiration de son visa ou déposé une demande d'asile, nous ne pouvons que surveiller la situation. Pour le moment, nous concentrons nos efforts sur le fait d'apporter notre aide aux équipes qui recherchent leurs athlètes\", a-t-il ajouté. Lors des Jeux olympiques de Sydney, en 2000, plus de 100 athlètes de nationalités diverses étaient restés en Australie après l'expiration de leur visa."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54614562", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54619639", "doc1": "হ্যাকাররা কি এ যুগের রবিনহুড হতে চাইছে? 'ডার্কসাইড হ্যাকার্স' নামের এই গোষ্ঠীটি হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে এ পর্যন্ত লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে এই হ্যাকাররা এখন বলছে, বিশ্বকে তারা আরও বাসযোগ্য করতে চায়। ডার্ক ওয়েবে এক পোস্টে তারা জানিয়েছে, দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তারা বিটকয়েনে দশ হাজার ডলার দান করেছে। এই দানের রসিদও তারা সেখানে পোস্ট করেছে। তবে দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের একটি, 'চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল' জানিয়েছে, তারা এই অর্থ নেবে না। এই ঘটনাটি একেবারেই অদ্ভূত এবং বেশ চিন্তিত হওয়ার মতো ব্যাপার- নৈতিক এবং আইনগত, দু'দিক থেকেই। গত ১৩ই অক্টোবর এক ব্লগ পোস্টে ডার্কসাইড হ্যাকার্স দাবি করেছে যে তারা কেবল বড় বড় লাভজনক কোম্পানিকে টার্গেট করে তাদের 'র‍্যানসমওয়্যার' দিয়ে। র‍্যানসমওয়্যার মূলত এমন ধরণের কম্পিউটার ভাইরাস, যার মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের আইটি সিস্টেমকে জিম্মি করে রাখা হয় মুক্তিপণ না দেয়া ���র্যন্ত। দশ হাজার ডলার দানের ট্যাক্স রসিদ হ্যাকাররা আবার অনলাইন পোস্ট করেছে। ডার্কসাইড হ্যাকার্স এই ব্লগপোস্টে লিখেছে, \"আমরা মনে করি, বিভিন্ন কোম্পানি যে অর্থ দিয়েছে, তার একটা অংশ দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়া উচিৎ, এটাই ন্যায্য। \"আমাদের কাজকে আপনারা যতটা খারাপ বলেই ভাবুন না কেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা কোন একজনের জীবন বদলাতে সাহায্য করেছি। আজ আমরা আমাদের প্রথম দানের অর্থ পাঠিয়েছি।\" এই সাইবার অপরাধীরা বিটকয়েনে তাদের অর্থ দান করে 'দ্য ওয়াটার প্রজেক্ট' এবং 'চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল' নামে দুটি দাতব্য সংস্থাকে। তারা দান করেছে শূন্য দশমিক ৮৮ বিটকয়েন। দান করার পর তারা যে ট্যাক্স রসিদগুলো পেয়েছে, সেগুলোও পোস্ট করেছে। চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল মূলত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। ভারত, ফিলিপাইন, কলম্বিয়া, জাম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কাজ আছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, \"এই দানের অর্থ যদি কোন হ্যাকারের কাছ থেকে এসে থাকে, আমাদের কোন ইচ্ছে নেই সেই অর্থ নেয়ার।\" অন্য দাতব্য সংস্থা, দ্য ওয়াটার প্রজেক্ট এখনো এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। এই প্রতিষ্ঠানটি মূলক সাব-সাহারান আফ্রিকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে। হ্যাকারদের দান করা অর্থের আরেকটি রসিদ। একটি সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি 'এমসিসফট‌ের' বিশ্লেষক ব্রেট ক্যালো বলেন, \"এভাবে অর্থ দান করে এই অপরাধীরা আসলে কী অর্জন করতে চায়, তা পরিস্কার নয়। হয়তো তাদের মধ্যে যে অপরাধবোধ কাজ করছে, সেটি কাটাতে চায়? অথবা হয়তো তারা একধরণের অহমিকা থেকে এটা করছে। নিজেদেরকে তারা হয়তো বিবেকহীন চাঁদাবাজের পরিবর্তে রবিনহুডের মতো কেউ বলে ভাবছে।\" \"তাদের উদ্দেশ্য যাই হোক, এটা খুবই অস্বাভাবিক এক ঘটনা। আমার জানা মতে এই প্রথম কোন র‍্যানসমওয়্যার হ্যাকার গোষ্ঠী এভাবে তাদের আয় করা অর্থ কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলো।\" ডার্কসাইড হ্যাকার্স তুলনামূলকভাবে নতুন এক গোষ্ঠী। তবে ক্রিপটো-কারেন্সি মার্কেট বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এরা তাদের ভিক্টিমদের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায় করছে। তবে অন্যান্য সাইবার অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে বলেও প্রমাণ আছে। এরকম একটি সাইবার অপরাধী গোষ্ঠী গত জা���ুয়ারীতে ট্রাভেলেক্সের ওপর হামলা চালিয়েছিল, র‍্যানসমওয়্যার দিয়ে তাদের প্রায় অচল করে দিয়েছিল। এই হ্যাকাররা যেভাবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ দান করেছে, সেটিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে চিন্তায় ফেলেছে। সাইবার অপরাধীরা এজন্য ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সেবা, 'দ্য গিভিং ব্লক।' বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৭টি সংস্থা এই সেবা ব্যবহার করে। এদের মধ্যে আছে 'সেভ দ্য চিলড্রেন', 'রেইনফরেস্ট ফাউন্ডেশন' এবং 'শী ইজ দ্য ফার্স্টে'র মতো দাতব্য প্রতিষ্ঠান। গিভিং ব্লক এই দান সম্পর্কে নিজেরাও টুইট করে ঘোষণা দিয়েছিল, পরে এটি তারা ডিলিট করে ফেলে দ্য গিভিং ব্লক দাবি করে, তারাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের মাধ্যমে ক্রিপটো-কারেন্সি দিয়ে অর্থ দান করা যায়। দু'হাজার আঠারো সালে এই প্রতিষ্ঠানটির শুরু। তারা ক্রিপটো-কারেন্সির মাধ্যমে যারা কোটিপতি হয়েছে, তাদেরকে ক্রিপটোকারেন্সীতে অর্থ দানের সুযোগ করে দেয়, যেটি তাদের করের দায় কমাতেও সাহায্য করবে। দ্য গিভিং ব্লক বিবিসিকে জানিয়েছে, এই অর্থ যে সাইবার ক্রিমিনালরা দান করেছে, সেটা তাদের জানা ছিল না। তারা বলেছে, \"আমরা এখনো খোঁজ নিয়ে দেখছি এই অর্থ আসলেই চুরি করা কীনা।\" \"যদি দেখা যায় যে এই অর্থ আসলে চুরি করা, আমরা তখন এই অর্থ যাদের, তাদের ফেরত দেয়ার কাজ শুরু করবো।\" তবে কোম্পানিটি এটা স্পষ্ট করেনি, তারা কি এই অর্থ সাইবার অপরাধীদের কাছেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলছে, নাকি এই অপরাধীদের শিকার হয়েছিল যারা, তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলছে। দ্য গিভিং ব্লক ক্রিপটো-কারেন্সির বড় সমর্থক। তারা আরও বলেছে, \"ওরা যেহেতু ক্রিপটো-কারেন্সিতে অর্থ দান করেছে, তাই তাদের ধরাটা বরং সহজ, কঠিন নয়।\" দ্য গিভিং ব্লকের মাধ্যমে ক্রিপটো-কারেন্সীতে দান গ্রহণ করে ৬৭টি সংস্থা তবে দাতাদের ব্যাপারে দ্য গিভিং ব্লক কী ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে, তার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল কারেন্সি কেনা-বেচা করে, তারা ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করে। কিন্তু দ্য গিভিং ব্লকের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়েছে কীনা, তা নিশ্চিত নয়। বিবিসি পরীক্ষামূলকভাবে পরিচয় প্রকাশ না করে দ্য গিভিং ব্লকের অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে কিছু দান করতে চেয়েছিল, সেখানে দাতার পরিচয় যাচাই করার জন্য কোন প্রশ্ন ক��া হয়নি। ফিলিপ গ্রাডওয়েল কাজ করেন 'ক্রিপটো-কারেন্সি অ্যনালিসিস' নামের একটি প্রতিষ্ঠানে, তিনি ক্রিপটো-কারেন্সির বিষয়ে তদন্ত করেন। \"আপনি যদি মুখোশ পরে কোন চ্যারিটি শপে যান এবং তাদেরকে নগদ ১০,০০০ পাউন্ড দান করেন, তারপর একটি রসিদ দাবি করেন, তখন আপনাকে সম্ভবত অনেক প্রশ্ন করা হবে- এক্ষেত্রেও কোন ব্যতিক্রম নেই।\" আরও পড়ুন: \"এটা সত্য যে গবেষকরা এবং আইন প্রয়োগকারীরা ক্রিপটো-কারেন্সি অর্থ কোত্থেকে কোথায় যাচ্ছে তা খুঁজে বের করতে এখন অনেক বেশি দক্ষ হয়ে উঠেছেন। কারণ এই ক্রিপটো-কারেন্সি এখন হাতবদল হয়ে ঘুরছে বিশ্বের নানা জায়গায়। তবে প্রতিটি ক্রিপটো-কারেন্সি ওয়ালেটের আসল মালিক কে, সেটি খুঁজে পাওয়া অনেক বেশি জটিল কাজ। অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনকে যখন সম্ভাব্য অবৈধ উৎস থেকে পাওয়া অর্থ এভাবে দান করতে দেয়া হচ্ছে, তা কিন্তু অর্থ পাচারের জন্য দরোজা খুলে দেয়ার বিপদ তৈরি করছে।\" \"সব ক্রিপটো-কারেন্সি ব্যবসাতেই কিন্তু বহু ধরণের 'এন্টি-মানি লন্ডারিং' পদক্ষেপ নিতে হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে 'নো ইউর কাস্টমার‌' (কেওয়াইসি), অর্থাৎ আপনার গ্রাহককে জানুন। এর মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হয়, যাতে করে কোন লেন-দেনের পেছনের ব্যক্তিটি আসলে কে, সেটা বোঝা যায়।\" দ্য গিভিং প্রজেক্টের মাধ্যমে আরও যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠান অনুদান নেয়, তাদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। সেভ দ্য চিলড্রেন বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা কখনোই জেনেশুনে এমন দানের অর্থ নেয় না, যা অপরাধের মাধ্যমে অর্জন করা। মেয়ে শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে 'শী ইজ দ্য ফার্স্ট‌'। তারা বলেছে, অজ্ঞাতপরিচয় এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক উৎস থেকে আসার অনুদান তারা নিতে স্বস্তিবোধ করবে না। সংস্থাটি বলেছে, এটি খুবই লজ্জার ব্যাপার যে খারাপ কিছু লোক ক্রিপটো-কারেন্সির মাধ্যমে দান করার এই সুযোগটি অপব্যবহার করছে। আমরা আশা করবো নামপরিচয় গোপন রাখতে চান এমন দাতারাও যেন আমাদের সমাজের মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।\" বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: ভোটের সংকট: দায় কার? নির্বাচন কমিশন, নাকি দলের? কৃষ্ণাঙ্গের সন্তান গর্ভে ধারণ করায় ঘরছাড়া বাঙালি মেয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে দোকানিদের কৌশল", "doc2": "Les hackers de Darkside prétendent avoir extorqué des millions de dollars aux entreprises, mais disent qu'ils veulent maintenant \"rendre le monde meilleur\". Dans un post sur le Dark web, le gang a affiché des reçus de 10 000 dollars de dons en Bitcoin à deux organisations caritatives. L'une d'entre elles, Children International, déclare qu'elle ne gardera pas l'argent. Cette décision des hackers est considérée comme étrange, tant sur le plan moral que juridique. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Dans le billet de blog du 13 octobre, les pirates informatiques affirment qu'ils ne ciblent que les grandes entreprises rentables avec leurs attaques de logiciels de rançon. Ces attaques retiennent les systèmes informatiques des entreprises en otage jusqu'à ce qu'une rançon soit payée. Les pirates ont publié leur reçu fiscal pour le don de 10 000 dollars Ils ont écrit : \"Nous pensons qu'il est juste qu'une partie de l'argent versé par les entreprises aille à des œuvres de charité\". \"Peu importe si vous pensez que nos agissements sont mauvais, nous sommes heureux de savoir que nous avons contribué à changer la vie de quelqu'un. Aujourd'hui, nous avons envoyé (sic) les premiers dons\". Les cyber criminels ont affiché le don ainsi que les reçus fiscaux qu'ils ont reçus en échange des 0,88 bitcoin qu'ils avaient envoyés à deux organisations caritatives, The Water Project et Children International. Lire aussi : Children International vient en aide à des enfants, des familles et des communautés en Inde, aux Philippines, en Colombie, en Équateur, en Zambie, en République dominicaine, au Guatemala, au Honduras, au Mexique et aux États-Unis. Un porte-parole de Children International a déclaré à la BBC : \"Si le don provient de hacker, nous n'avons pas l'intention de le garder\". The Water Project, qui œuvre à améliorer l'accès à l'eau potable en Afrique subsaharienne, n'a pas répondu aux demandes de commentaires. Un autre reçu a été publié sur le dark web, indiquant un don de 10 000 dollars Pour Brett Callow, analyste pour la société de cybersécurité Emsisoft : \"Ce que les criminels espèrent obtenir en faisant ces dons n'est pas du tout clair. Peut-être cela les aide-t-il à se déculpabiliser ? Ou peut-être que pour des raisons égoïstes, ils veulent être perçus comme des héros à la \"Robin des Bois\" plutôt que comme des personnes qui extorquent des fonds sans scrupules\". \"Quelles que soient leurs motivations, c'est certainement une démarche très inhabituelle et c'est, à ma connaissance, la première fois qu'un groupe de hackers fait don d'une partie de ses bénéfices à une œuvre de charité. Lire aussi : Le groupe de pirates Darkside est relativement nouveau sur la scène, mais l'analyse du marché des crypto-monnaies confirme qu'ils extorquent activement des fonds à leurs victimes. Il y a également des preuves qu'ils pourraient avoir des liens avec d'autres groupes de cybercriminels responsables d'attaques très médiatisées contre des entreprises, notamment Travelex, qui a été paralysé par un logiciel de rançon en janvier. La manière dont les pirates ont versé des sommes d'argent aux organisations caritatives est également une source possible d'inquiétude pour les forces de l'ordre. Les cybercriminels ont utilisé un service basé aux États-Unis appelé The Giving Block, qui est utilisé par 67 différentes organisations à but non lucratif basées dans le monde entier, dont Save The Children, Rainforest Foundation et She's The First. Ce tweet, désormais supprimé par le Giving Block, célébrait le don fait par les hackers. Le Giving Block se décrit lui-même sur son site Internet comme \"la seule solution à but non lucratif pour accepter des dons en crypto-monnaie\". La société a été créée en 2018 pour offrir aux \"millionnaires\" en cryptomonnaie la possibilité de profiter de \"l'énorme incitation fiscale à donner des Bitcoins et d'autres cryptomonnaies directement à des organisations à but non lucratif\". Lire aussi : Le Giving Block a affirmé à la BBC qu'il n'était pas au courant que ces dons étaient faits par des cybercriminels. Il a déclaré : \"Nous nous efforçons toujours de déterminer si ces fonds ont réellement été volés\". \"S'il s'avère que ces dons ont été faits en utilisant des fonds volés, nous allons bien sûr les rendre à leurs propriétaires légitimes\". La société n'a pas précisé s'il s'agissait de restituer l'argent volé aux criminels, ou d'essayer de déterminer laquelle des victimes de ces pirates elle entendait rembourser et comment. Le Giving Block, qui est également un défenseur des crypto-monnaies, a ajouté : \"le fait qu'ils aient utilisé la crypto facilitera l'arrestation des hackers\". 67 organisations caritatives utilisent The Giving Block pour recevoir les dons en crypto-monnaie. Cependant, The Giving Block n'a pas donné de détails sur les informations qu'il collecte sur ses donateurs. La plupart des services qui achètent et vendent des crypto monnaies comme le Bitcoin demandent aux utilisateurs d'authentifier leur identité. A titre d'expérience, la BBC a tenté de faire des dons anonymes par le biais du système en ligne de The Giving Block, et n'a pas eu à répondre à des questions visant à vérifier l'identité des donateurs. Selon les experts, cette affaire met en évidence la complexité et les dangers des dons anonymes. Selon Philip Gradwell, enquêteur de Chainanalysis qui est spécialisé dans la crypto monnaie : \"Si vous entrez dans le hall d'une ONG avec un masque et faites un don de 10 000 livres sterling en espèces, puis demandez un reçu fiscal, on devrait vous poser des questions - et cela ne devrait pas différent dans le cyber espace\". \"En autorisant les dons anonymes provenant de sources potentiellement illicites, on s'expose au risque de blanchiment d'argent\". \"Toutes les entreprises de crypto-monnaie ont besoin d'une gamme complète de mesures de lutte contre le blanchiment d'argent, y compris un programme de vérification des antécédents des utilisateurs, afin de comprendre qui est derrière les transactions que leur entreprise facilite\". Lire aussi : La BBC s'est entretenue avec d'autres organisations caritatives qui acceptent des dons via le Giving Project. Save the Children a dit à la BBC qu'elle \"ne prendrait jamais sciemment de l'argent obtenu de manière illicite\". L'organisation caritative milite pour l'éducation des filles dans le monde entier. Elle a certifié qu'elle n'accepterait pas de l'argent provenant de sources anonymes, peut-être criminelles. \"Nous espérons que même les donateurs anonymes partagent les valeurs de notre communauté\", affirme l'organisme."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48864049", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48861453", "doc1": "ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই তিনটি প্ল্যাটফর্মই ফেসবুকের মালিকানাধীন। ফেসবুক জানিয়েছে, এই সমস্যাটি সারিয়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক বিলিয়ন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ছবি আপ করতে না পারার এই ভোগান্তির কথা প্রকাশ করতে গিয়ে কোনো-কোনো ব্যবহারকারী প্রতিন্দ্বন্দ্বী সাইট টুইটারকে বেছে নিয়েছেন। টুইটারে তারা হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখছেন #ফেসবুকডাউন #ইনস্টাগ্রামডাউন #হোয়াটসঅ্যাপডাউন। গত মার্চ মাসেও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীরা দীর্ঘসময় ধরে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কোন দেশ কী করছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটে ফেসবুক, যা জানা যাচ্ছে জাকারবার্গের ফেক ভিডিও তুলে নিবে না ফেসবুক এরপরে আবার এপ্রিল মাসেও সমস্যা দেখা দেয়। এপ্রিল মাসে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সাথে হোয়াটসঅ্যাপেও ঝামেলা দেখা দেয়। ফেসবুকে প্রতিমাসে ২.৩ বিলিয়নের বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকে। আর ইনস্টাগ্রামে প্রতিমাসে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। ফেসবুকের যে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ রয়েছে সেটি আলাদাভাবে ইন্সটল করতে হয়। কিন্তু নতুন যে সংকট দেখা দিয়েছে এর প্রভাব পড়েছে ফেসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপেও।", "doc2": "Le problème a affecté des utilisateurs voulant télécharger des photos, des vidéos et d'autres sortes de fichiers. L'application Facebook Messenger qui est souvent installée séparément, est aussi concernée par les perturbations actuelles. Un porte-parole de Facebook à qui appartient les trois applications, a déclaré à la BBC: \"Nous travaillons afin que les choses reviennent à la normale aussi vite que possible\". Lire aussi: Les messages Facebook \"maigrissent\" Facebook : nécrologie par erreur Facebook Messenger pour enfants Le problème a affecté des utilisateurs voulant télécharger des photos, des vidéos et d'autres sortes de fichiers. Les trois réseaux sociaux, pris ensemble, comptent des milliards d'utilisateurs dans le monde entier. Au mois de mars dernier, Facebook et Instagram ont subi les plus longues périodes de perturbations de leurs histoires. D'autres problèmes de ce genre avaient aussi affecté les deux applications ainsi que WhatsApp un mois plus tard. Le Sénégalais Mamadou Sy primé par Facebook"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45459820", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-54284177", "doc1": "আলিবাবা'র নির্বাহী প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জ্যাক মা পত্রিকাটি বলছে, প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও আলিবাবা'র পরিচালক পরিষদে থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে জনহিতকর কার্যক্রমে মনোনিবেশ করতে চান জ্যাক মা। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা আলিবাবা - যা পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইন্টারনেট কোম্পানি হিসেবে সফলতা লাভ করে - তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জ্যাক মা। অনলাইনে কেনাবেচার সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিং এবং চলচ্চিত্র তৈরীর মত সেবাও দিয়ে থাকে আলিবাবা। আলিবাবা'র বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশী। 'টাইমস' পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. মা বলেন, তাঁর অবসর নেয়ার কারণে একটি যুগের শেষ হবে না, বরং শুরু হবে। আরো পড়তে পারেন: 'আম' সম্পর্কে যে ১৩টি তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই রোহিঙ্গা নিয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার আছে: আইসিসি ভারতের গ্রামাঞ্চলে সমকামীদের জীবন যেমন জ্যাক মা'র ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকারী মি. মা ফোর্বসে'র ২০১৭ সালের তালিকায় চীনের বিত্তশালী ব্যক্তিদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। সোমবার তাঁর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী। এ সপ্তাহের শুরুতে ব্লুমবার্গ টিভিকে মি. মা বলেন, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মত একটি ব্যক্তিগত দাতব্য প্রতিষ্ঠান গঠন করতে আগ্রহী তিনি। \"বিল গেটসের কাছ থেকে আমার অনেক কিছু শেখার আছে\", বলেন মি. মা। মি. মা পেশাগত জীবনের শুরু করেন চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝৌ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে। মি. মা বলেন, \"আমার মনে হয় কিছুদিনের মধ্যেই আমি আবার শিক্ষকতায় ফিরে যাবো। আমার ধারণা, আলিবাবা'র প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনের চেয়ে শিক্ষক হিসেবে আমি অনেক ভালো কাজ করতে পারবো।\" হাংঝৌ'য়ে তাঁর ফ্ল্যাটে কয়েকজন বন্ধুর সাথে আলিবাবা'র কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।", "doc2": "Zhong Shanshan a fondé la société de vente d'eau de source Nongfu en 1996 dans la province du Zhejiang, sur la côte est de la Chine. Le Bloomberg Billionaires Index place désormais M. Shanshan en tête de son classement pour la Chine avec une fortune de 58,7 milliards de dollars. La récente introduction en bourse de sa société d'eau en bouteille et une participation majoritaire chez un fabricant de vaccins ont contribué à lui faire gagner des places au classement. A lire aussi sur BBC Afrique: Surnommé le \"loup solitaire\", M. Zhong est désormais la deuxième personne la plus riche d'Asie derrière l'Indien Mukesh Ambani, le milliardaire de Reliance Industries. M. Zhong se classe au 17e rang de la liste des 500 personnes les plus riches du monde. La plupart des nouveaux milliardaires chinois sont issus des industries technologiques. Mais les tensions croissantes entre la Chine et les États-Unis au sujet de Huawei, TikTok et WeChat ont fait baisser les valuations des actions des sociétés technologiques chinoises. Le secteur chinois de l'alimentation et de l'épicerie est désormais en concurrence avec son secteur technologique parmi les industries pourvoyeuses des hommes d'affaires les plus riches du pays. En avril, le groupe pharmaceutique Wantai, appartenant à M. Zhong a été coté à la bourse de Pékin. Sa prise de contrôle de l'entreprise a fait bondir sa fortune de 20 milliards de dollars en août. L'entreprise pharmaceutique affirme s'être associée à deux universités pour développer un vaccin potentiel contre la Covid-19. Zhong Shanshan a fondé Nongfu pendant le Printemps en 1996. Capsules rouges Les actions de Nongfu Spring ont fait un bond de 54 % le jour de leur introduction à la bourse de Hong Kong au début du mois. Les bouteilles à bouchon rouge de Nongfu Spring sont vendues dans tout le pays, des petits magasins aux hôtels haut de gamme. La société vend également des thés, des boissons vitaminées aromatisées et des jus. Le succès de la cotation en bourse a propulsé M. Zhong parmi les trois personnes les plus riches de Chine, aux côtés de M. Ma d'Alibaba et de Pony Ma, le patron de Tencent. Mais le rebond des actions des entreprises technologiques de cette semaine a permis au magnat chinois remonter dans le classement des hommes d'affaire les plus riches. M. Zhong pourrait bien ne pas rester longtemps devant M. Ma, qui occupe la première place depuis six ans. A regarder sur BBC Afrique: Quand le patron d’Alibaba Jack Ma se met à la danse. Le groupe Ant, soutenu par Alibaba, devrait être coté à la bourse chinoise et à la bourse de Hong Kong le mois prochain, ce qui augmentera encore la richesse du patron de l'entreprise technologique. L'entreprise de paiements en ligne pourrait rapporter à M. Ma environ 28 milliards de dollars si la société atteint la valorisation de 250 milliards de dollars qu'elle vise."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51688298", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51721436", "doc1": "বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকার কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অর্থাৎ এই হার এক শতাংশের সমান। যদিও মৃত্যুর বিষয়টি আরো অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে, যেমন বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং আপনি যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রয়েছেন তার অবস্থা কেমন সেটিও দেখার বিষয়। মৃত্যুহার বের করা কতটা কঠিন? মৃত্যুহার বের করাটা বেশ কঠিন। এমনকি কতজন মারা গেলো তা গণনা করাটাও জটিল। বেশিরভাগ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবের বাইরে থেকে যায় কারণ মৃদু উপসর্গ থাকলে কেউই চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। ভাইরাসের ভিন্নতার জন্য বিশ্ব জুড়ে যে মৃত্যু হার জানা যাচ্ছে তাও যথোপযুক্ত নয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণা বলছে, মৃদু সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে কিছু দেশ পারদর্শী হলেও অনেক দেশে আবার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। যার কারণে আক্রান্তের হিসাব রাখাটা কঠিন। তাই সব আক্রান্তের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা না হলে মৃত্যুহ���র অনেক বেশি বলে মনে হতে পারে, আবার বিপরীত হলে এর উল্টো চিত্রও হতে পারে। সংক্রমণ ভাল হয়ে যাবে নাকি সেটি মৃত্যু ডেকে আনবে তা বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। আর এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই যদি সব সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা হয়, তাহলে মৃত্যুহার কম বলে মনে হবে, কারণ যারা শেষমেশ সংক্রমণে ভুগে মারা যাবে তাদের সংখ্যাটা সেসময় পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরা এ ধরণের প্রতিটি ঘটনা একত্রিত করে মৃত্যুহার নিয়ে একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরির চেষ্টা করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিজ্ঞানীরা ছোট পরিসরে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মধ্যে মৃদু উপসর্গের হার অনুমান করেন। পরে ওই সব ঘটনা থেকে ছোট ছোট পরিবর্তনও বড় পরিসরে বড় পরিবর্তনের সাথে যুক্ত করা হয়। যেমন, যদি শুধু হুবেই থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয় যেখানে অন্য জায়গার তুলনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি, তাহলে সর্বমোট মৃত্যুহার আরো অনেক বেশি হবে। তাই বিজ্ঞানীরা মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে একটি ধারা বা পরিসীমা ব্যবহার করেন এবং সেই সাথে সর্বশেষ সম্ভাব্য ধারণাটিও জানিয়ে দেন। কিন্তু এটিও আসলে পুরো ঘটনার পূর্ণ চিত্র দেয় না কারণ এর কোন একক মৃত্যুহার নেই। সাধারণ মানুষের ঝুঁকি কতটা? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিছু মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়: যেমন যারা বয়স্ক, অসুস্থ আর পুরুষ। চীনে সংক্রমণের শিকার ৪৪ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম বড় আকারে যে বিশ্লেষণটি পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় যে, মধ্য বয়সীদের তুলনায় বয়ো-বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ গুণ বেশি। ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম- সাড়ে চার হাজার জন আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৮ জন মারা গিয়েছিল। আর যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুহার ৫ গুণ বেশি। জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরীতে ৬২১ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহারও কিছুটা বেশি। এই সবগুলো কারণই একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই বিভিন্ন এলাকায় থাকা মানুষের জন্য ঝুঁকির হার কতটা রয়েছে তার কোন সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। যেখানে বাস করছি সেখানে ঝুঁকি কতটা? চীনে বসবাস করা ৮০ বছর বয়সী একদল মানুষের মধ্যে যে ঝুঁকি রয়েছে তা ইউরোপ কিংবা আফ্���িকায় থাকা একই বয়সী একদল মানুষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এছাড়া কী ধরণের চিকিৎসা সেবা আপনি পাচ্ছেন সেটার উপরও আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নির্ভর করে। একই সাথে এটা নির্ভর করে প্রাদুর্ভাবটি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কী ধরণের সুযোগ রয়েছে তার উপর। যদি প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর বাড়বে এবং যেকোন নির্দিষ্ট এলাকায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ভেন্টিলেটর ব্যবস্থাও নির্দিষ্ট থাকে। ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের একটি বিশেষ সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটি কি ফ্লু এর চেয়ে বেশি বিপদজনক? আমরা মৃত্যুহার তুলনা করতে পারি না, কারণ অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ফ্লু-এ আক্রান্তর হওয়ার মৃদু উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান না। কাজেই আমরা জানি না যে, প্রতিবছর ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা কত হচ্ছে আর অন্য কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কত হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এখনো বিশেষ করে শীতকালে ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়। তাই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা একটা পূর্ণ চিত্র দিতে পারবেন যে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মৌলিক যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তা হলো, হাত ধুয়ে, কাশি বা সর্দিতে ভুগছেন এমন মানুষ থেকে দূরে থেকে এবং চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ তৈরি করে এমন সব ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।", "doc2": "Plus de 50 pays ont maintenant des cas confirmés Mais cela dépend d'une série de facteurs : l'âge, le sexe, l'état de santé général et le système de santé de votre pays. Est-il difficile de calculer le taux de mortalité ? C'est très difficile, même le décomptage des cas est délicat. La plupart des cas de la plupart des virus ne seront pas comptés parce que les gens ont tendance à ne pas consulter le médecin en cas de symptômes légers. Il est peu probable que les différents taux de mortalité que nous constatons dans le monde soient dus à des versions différentes du virus. Selon les recherches de l'Imperial College, c'est parce que les différents pays sont plus ou moins capables de repérer les cas les plus bénins et les plus difficiles à compter. La non-déclaration des cas permet donc facilement de surestimer le taux de mortalité. Mais vous pouvez aussi vous tromper dans l'autre sens. Il faut du temps avant qu'une infection n'entraîne la guérison ou la mort. Si vous incluez tous les cas qui n'ont pas encore eu la chance de suivre leur cours, vous sous-estimerez le taux de mortalité car vous passez à côté des cas qui se termineront par un décès plus tard. Les scientifiques combinent des éléments de preuve individuels sur chacune de ces questions pour dresser un tableau du taux de mortalité. Par exemple, ils estiment la proportion de cas présentant des symptômes bénins parmi de petits groupes définis de personnes qui sont suivis de très près, comme les personnes sur les vols de rapatriement. Mais des réponses légèrement différentes de ces éléments de preuve entraîneront des changements importants dans le tableau général. Si vous utilisez uniquement les données d Hubei, où le taux de mortalité est beaucoup plus élevé qu'ailleurs en Chine, le taux de mortalité global sera bien pire. Les scientifiques donnent donc une fourchette ainsi que la meilleure estimation actuelle. Mais même cela ne dit pas tout, car il n'existe pas de taux de mortalité unique. Lire aussi Quel est le risque pour des gens comme moi ? Certains types de personnes sont plus susceptibles de mourir si elles contractent un coronavirus : les personnes âgées, les malades et, peut-être, les hommes. Dans la première grande analyse de plus de 44 000 cas en Chine, le taux de mortalité était dix fois plus élevé chez les personnes très âgées que chez les personnes d'âge moyen. Taux de mortalité Les taux de mortalité étaient les plus bas chez les moins de 30 ans - il y a eu huit décès dans 4 500 cas. Et les décès étaient au moins cinq fois plus fréquents chez les personnes souffrant de diabète, d'hypertension artérielle ou de problèmes cardiaques ou respiratoires. Le nombre de décès était même légèrement plus élevé chez les hommes que chez les femmes. Tous ces facteurs interagissent les uns avec les autres et nous n'avons pas encore une idée complète du risque pour chaque type de personne dans chaque endroit. Diamond Princess, un bateau au Japon, est en quarantaine Quel est le risque pour les gens là où je vis ? Un groupe d'hommes de 80 ans en Chine pourrait présenter des risques très différents de ceux des hommes du même âge en Europe ou en Afrique. Plusieurs cas confirmés de coronavirus ont été signalés dans plusieurs pays d'Afrique : Algérie, Egypte, Nigéria, Maroc et Sénégal. Votre pronostic dépend également du traitement que vous recevez. À son tour, cela dépend de ce qui est disponible et du stade de l'épidémie. Si l'épidémie prend de l'ampleur, les systèmes de santé pourraient être submergés de cas - il n'y a qu'un nombre limité d'unités de soins intensifs disponibles dans une région donnée. Un Français testé positif au coronavirus est traité à l'hôpital Fann de Dakar Est-il plus dangereux que la grippe? Nous ne pouvons pas comparer les taux de mortalité car de nombreuses personnes présentant de légers symptômes de la grippe choisissent de ne jamais consulter un médecin. Nous ne savons donc pas combien de cas de grippe, ou de tout nouveau virus, sont recensés chaque année. Mais la grippe continue de tuer des gens chaque hiver. Au fur et à mesure de l'évolution des données, les scientifiques pourront se faire une idée plus précise des personnes qui seraient les plus exposées. Le conseil de base de l'OMS est que vous pouvez vous protéger contre tous les virus respiratoires en vous lavant les mains, en évitant les personnes qui toussent et éternuent et en essayant de ne pas toucher vos yeux, votre nez et votre bouche. ,"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50610515", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50601103", "doc1": "যৌনমিলনের সময় চড় মারা, থুতু দেওয়া বা শ্বাসরোধের মত সহিংসতার শিকার হয়েছেন অ্যানা বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, যুক্তরাজ্যের ৪০ বছরের চেয়ে কম বয়সী নারীদের এক-তৃতীয়াংশই যৌন সঙ্গমের সময় অযাচিতভাবে সহিংসতার (চড় মারা, শ্বাসরোধ করা, থুতু দেওয়া) শিকার হয়েছেন। যেসব নারীর এই ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাদের অন্তত ২০% জানিয়েছেন যে পরবর্তীতে তারা ভীত বা বিপর্যস্ত বোধ করেছেন। ২৩ বছর বয়সী অ্যানা জানান, তিনজন আলাদা পুরুষের সাথে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্কের সময় তিনি এধরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রথমবার তার চুল ধরে টানা হয় এবং চড় মারা হয়। এরপর তার সঙ্গী অ্যানা'র গলায় হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। আরো পড়ুন: 'আমার স্ত্রীর সাথে যৌনমিলন ছিল একটা যুদ্ধের মতো' কোন বয়সে হওয়া উচিত প্রথম যৌনমিলন? মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা ভ্যাজাইনিসমাস: ���ে ব্যাধি যৌনমিলনে শুধুই যন্ত্রণা দেয় \"আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করি এবং ভয় পাই। কেউ যদি রাস্তায় আপনাকে চড় মারতো এবং গলা চেপে ধরতো তাহলে সেটিকে হামলা হিসেবে দেখা হতো\", বলেন অ্যানা। নিজের বন্ধুদের সাথে যখন অ্যানা এই অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তখনই বুঝতে পারেন যে এরকম ঘটনা অহরহই ঘটছে। \"এরপর থেকে দেখলাম অধিকাংশ পুরুষই এসব কাজের সবগুলো একসাথে না হলেও অন্তত কোনো একটি করার চেষ্টা করেন।\" যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয়নি'। আরেকবার সঙ্গমরত অবস্থায় তার অনুমতি না নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না দিয়েই পুরুষ সঙ্গী অ্যানার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এবছরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অ্যানা বলেন তার আরেক সঙ্গী যৌনমিলনের সময় তার উপর এতটাই বল প্রয়োগ করে যে পরবর্তীতে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন থেকে যায়। \"আমি জানি কিছু নারী বলবেন যে তারা এগুলো উপভোগ করেন। সমস্যা হয় তখনই, যখন পুরুষরা ধরে নেয় যে সব নারীই সেগুলো উপভোগ করবে।\" গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভান্টা কমরেস যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ২ হাজার ২ জন নারীকে জিজ্ঞেস করেন তারা যৌনমিলনের সময় চড়, শ্বাসরোধ, কন্ঠরোধ অথবা থুতু দেওয়া উপভোগ করেন কিনা এবং অযাচিতভাবে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তাদের পড়তে হয়েছে কিনা। এক-তৃতীয়াংশের বেশি নারীই (৩৮%) এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান। ৩১% নারী জানিয়েছেন তারা এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু তা তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ছিল। আর ৩১% নারী বলেছেন তাদের এধরণের কোনো অভিজ্ঞতা হয়নি, এসম্পর্কে জানেন না অথবা তারা এনিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা সেন্টার ফর ওমেন্স জাস্টিসের মতে এধরণের ঘটনার সংখ্যা বাড়ায় বোঝা যায় যে যৌনমিলনের সময় 'অবমাননাকর, ঝুঁকিপূর্ণ ও সহিংস কাজের অনুমতি দেয়ার জন্য নারীদের ওপর চাপ বাড়ছে।' তারা বলছে: \"এক্সট্রিম পর্নোগ্রাফিকে স্বাভাবিকভাবে দেখা, এর সহজলভ্যতা ও যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণেই এধরনের ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে।\" 'আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই' এমা'র বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তিনি মাত্রই দীর্ঘ সময় টিকে থাকা একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তারপর তিনি একরাত���র জন্য এক ব্যক্তির সাথে যৌনসম্পর্ক করেন। \"সেক্সের সময় কোনো কিছু না জানিয়েই সে আমার শ্বাসরোধ করে। আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই এবং আতঙ্কিত বোধ করি। সেসময় আমি কিছু বলিনি কারণ আমার চিন্তা হয় যে, এই ব্যক্তি আমার ওপর জোর প্রয়োগ করতে পারে।\" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে সুদানে নারীদের নিয়ন্ত্রণকারী আইন বাতিল পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? অনেক নারীর কাছে যৌন সম্পর্ক ধারালো বস্তুর আঘাতের মতো এমাও মনে করেন যে পর্ন দেখেই ঐ ব্যক্তির মাথায় এরকম চিন্তা এসেছে। \"মনে হচ্ছির সে অনলাইনে এরকম কিছু দেখেছে এবং সেটাই বাস্তব জীবনে চেষ্টা করছে।\" গবেষণায় এও উঠে আসে যে যারা যৌনমিলনের সময় চড়, শ্বাসরোধ, কন্ঠরোধ বা থুতুর মত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের ৪২% সেগুলো মেনে নিতে চাপ বোধ করেছেন বা তাদের জোর করে সেগুলো মেনে নিতে রাজি করানো হয়েছে। 'সহিংসতা 'স্বাভাবিক' হয়ে উঠছে' যৌনতা ও সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ স্টিভেন পোপ এই ধরণের কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিদিনই দেখতে পান বলে জানান। \"এট একটি নীরব মহামারি। মানুষ এগুলো করে কারণ তারা মনে করে যে এটি স্বাভাবিক, কিন্তু এর প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে। অনেকসময় এরকম কাজ সম্পর্কের অবমূল্যায়ন করে। আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, এটি সহিংসতাকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়।\" তিনি মন্তব্য করেন, যারা এধরণের কাজ করে তারা এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে জানে না। সচেনতা কর্মী ফিওনা ম্যাকেঞ্জি বলেন যে এই জরিপের ফল 'রীতিমত ভীতিকর।' \"আমি প্রায়ই নারীদের কাছ থেকে শুনি যে যৌনমিলনের সময় সঙ্গী তাদের চড় মেরেছে, থুতু দিয়েছে, শ্বাসরোধ করেছে, ঘুষি দিয়েছে বা গালিগালাজ করেছে। যদিও ঐ সঙ্গীর সাথে সম্মতিক্রমেই যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নারীটি।\" অ্যানা মন্তব্য করেন, \"সেক্স খুবই পুরুষকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখন যৌনমিলনের ক্ষেত্রে পর্নের প্রভাব ব্যাপক। নারীদের জন্য বিষয়টি খুব একটা উপভোগ্য নয়।\" এবং তিনি মনে করেন যৌনমিলনের সময় সহিংসতার বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। \"আমার সাথে যৌনমিলনের সময় সহিংস আচরণ করা পুরুষরা খুবই সাধারণ ছিল। কিন্তু আমার ধারণা তারা নিয়মিত পর্ন দেখতো এবং তারা ধরেই নিয়েছি�� যে, নারীরা এরকমটা চায়।\"", "doc2": "Anna dit qu'on lui a tiré les cheveux, qu'on l'a giflée et qu'un homme lui a mis les mains autour du cou pendant les rapports sexuels. Plus d'un tiers des femmes britanniques de moins de 40 ans disent avoir subi des gifles, des étouffements, des bâillonnements ou des crachats non désirés lors de rapports sexuels consensuels, selon une étude de la BBC. Parmi les femmes qui avaient subi l'un ou l'autre de ces actes, voulus ou non, 20 % ont dit avoir été bouleversées ou avoir eu peur. Anna, 23 ans, dit qu'elle a été victime d'actes de violence non désirés lors de relations sexuelles consensuelles à trois occasions distinctes, avec des hommes différents. Lire aussi: Pour elle, ça a commencé par des gifles. Puis l'homme a essayé de lui mettre les mains autour du cou. \"J'étais choquée, dit-elle, je me sentais extrêmement mal à l'aise et intimidée. Si quelqu'un vous giflait ou vous étranglait dans la rue, ce serait une agression\". Ce n'est que lorsqu'Anna en a parlé à ses amis qu'elle s'est rendu compte à quel point c'était courant. Sandhya, Rani et bien d'autres encore partagent leurs calvaires à Bombay. \"A partir de ce moment-là, presque tous les gars essayent au moins une, sinon plusieurs combinaisons de ces actes.\" Une autre fois, elle dit qu'elle a été étranglée par un homme lors de rapports sexuels - sans consentement ni avertissement. Anna, qui a obtenu son diplôme universitaire cette année, dit aussi qu'elle avait un partenaire qui l'a manipulée avec tant de force qu'elle a souffert de contusions et de douleurs pendant des jours. \"Je sais que certaines femmes diront qu'elles aiment ça. Ce qui est problématique, c'est quand les hommes supposent que toutes les femmes le veulent.\" Lire également: La société d'études Savanta ComRes a demandé à 2 002 femmes britanniques âgées de 18 à 39 ans si elles avaient été giflées, étouffées, bâillonnées ou qu'on leur craché dessus lors de rapports sexuels consensuels contre leur gré. L'échantillon a été sélectionné pour être représentatif de toutes les femmes du Royaume-Uni par âge et par région. Plus d'un tiers (38 %) avaient vécu ces actes et ont dit que cela était contre leur gré au moins une partie du temps, alors qu'un peu moins des deux tiers des femmes qui l'avaient vécu ont dit qu'elles ne les avaient jamais désirés (31 %), ou qu'elles n'avaient aucune expérience, ne savaient pas ou préféraient ne pas dire (31 %). Le Centre for Women's Justice (centre pour la justice aux femmes) a déclaré à la BBC que les chiffres montraient \"la pression croissante sur les jeunes femmes pour qu'elles consentent à des actes violents, dangereux et dégradants\". Lire aussi : Il indique que : \"Cela est probablement dû à la disponibilité, à la banalisation et à l'utilisation généralisée de la pornographie extrême.\" Adina Claire, codirectrice générale par intérim de Women's Aid, a déclaré que cette étude indiquait \"à quelle fréquence les femmes de moins de 40 ans subissent de la violence sexuelle, de la part de partenaires avec qui elles consentent à avoir des rapports sexuels, ce qui les soumet à des humiliations ou les effraie.\" \"Consentir à avoir des rapports sexuels avec quelqu'un ne diminue pas la gravité des actes de gifle ou d'étranglement de quelqu'un.\" Je me sentais terrifiée Emma a la trentaine et sort d'une relation à long terme lorsqu'elle a eu une aventure d'un soir. \"On a fini au lit et pendant l'amour - sans prévenir - il a commencé à m'étrangler. J'étais vraiment choquée et terrifiée. Je n'ai rien dit à l'époque parce qu'au fond de ma tête, je me sentais vulnérable, comme si cet homme pouvait me dominer.\" Lire aussi : Elle attribue également cette situation à l'influence de la pornographie. \"C'était comme si c'était des choses qu'il avait vues en ligne et qu'il voulait jouer dans la vraie vie.\" La recherche a également suggéré que 42 % des personnes qui avaient été giflées, étouffées, étouffées, bâillonnées ou sur lesquelles on a craché lors de rapports sexuels consensuels se sentaient contraintes, obligées ou forcées à le faire. La violence devient 'normalisée' Steven Pope est un psychothérapeute spécialisé dans le sexe et les relations. Il a dit à la BBC qu'il observe l'impact négatif de l'augmentation des actes de ce genre \" jour après jour \". Lire aussi \"C'est une épidémie silencieuse. Les gens le font parce qu'ils pensent que c'est la norme, mais cela peut être très nocif. Ce que nous voyons, c'est que pour beaucoup, cela dévalorise la relation mais - au pire - la violence devient acceptable.\" Il s'inquiète du fait que ceux qui se livrent à ces actes ne sont pas conscients des risques. Les gens viennent me voir lorsqu'ils ont eu des \" quasi-accidents \", lorsque l'étranglement ou l'\" étouffement \" a dépassé les bornes et qu'ils ont été inconscients pendant une longue période. \"Le truc avec la strangulation, c'est que c'est toujours à haut risque, mais c'est littéralement la dernière chose à laquelle les gens pensent.\" Lire aussi: La responsable de la campagne, Fiona McKenzie, a qualifié les résultats du sondage de \"particulièrement effrayants\". \"J'entends régulièrement parler de femmes qui ont été étouffées, giflées, agressées verbalement et frappées par des hommes avec qui elles avaient des rapports sexuels consensuels ou sur lesquelles on a craché. Dans bien des cas, les femmes n'ont pas été capables au départ de reconnaître qu'il s'agissait d'une agression traumatisante.\" Elle a mis sur pied un groupe de campagne, We Can't Consent to This (On ne peut pas consentir à ça), après avoir remarqué une augmentation du nombre de cas où des femmes avaient été tuées lors d'un \" jeu sexuel qui a mal tourné \" - et où le consentement était utilisé comme moyen de défense ou d'atténuation. Anna a dit que le sexe est devenu \"très centré sur les hommes.... C'est devenu tellement \"pornographique\" qu'il n'y a pas grand-chose pour les femmes.\" Et elle a dit que la violence pendant les rapports sexuels s'est normalisée : \"Ce n'étaient que des types ordinaires. Ils n'avaient rien d'unificateur, bien que je suppose qu'ils soient des consommateurs assez fréquents de porno. Ils regardent ça et supposent que c'est ce que les femmes veulent, mais ils ne demandent pas.\" La recherche fait suite à des affaires récentes de \"sexe brutal\" - comme celui qui a conduit à la mort de l'aventurière britannique Grace Millane."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56466599", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56475128", "doc1": "অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ অপরিহার্য। বেশ কয়েকটি দরিদ্র দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বলেছিল তাদের সহায়তা করতে। আন্তর্জাতিক আইনের বিধান অনুযায়ী দরিদ্র দেশগুলোকে এই সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও ধনী দেশগুলো তা উপেক্ষা করছে। এই তথ্য পাওয়া গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি ফাঁস হওয়া অনুলিপি থেকে। এই ধনী দেশগুলির মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো রয়েছে। \"ভাষাসহ এমন আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যার কারণে একটি দেশের পক্ষে অভ্যন্তরিণভাবে আরও বেশি টিকা এবং ওষুধ উৎপাদন করা সহজ হয়। এর মধ্যে এমন উদ্যোগও থাকবে যা অর্থায়নের বিষয়টিকে সহজতর করবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য এ ধরণের প্রগতিশীল প্রস্তাবগুলো সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে,\" জাস্ট ট্রিটমেন্টের ডায়ারমেড ম্যাকডোনাল্ড এসব কথা বলেছেন। জাস্ট ট্রিটমেন্ট মূলত রোগীদের একটি গোষ্ঠী যারা ওষুধের সুষ্ঠু সরবরাহে জন্য কাজ করে। আরও পড়তে পারেন: অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা স্থগিতের পর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পর্যালোচনা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, \"বিশ্বব্যাপী মহামারির জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সমাধান প্রয়োজন এবং যুক্তরাজ্য বিশ্বজুড়ে কোভিডের টিকা এবং এ রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে\"। ওই মুখপাত্র বলেছেন, চলতি বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন করোনাভাইরাসের এক কোটি ডোজ টিকা পায় তা নিশ্চিত করার জন্য যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে, তার অন্যতম অনুদান প্রদানকারী দেশ হল যুক্তরাজ্য এসব ওষুধের সরবরাহ সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার কখন হস্তক্ষেপ করবে কিংবা হস্তক্ষেপ করবে কিনা, সেটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। তবে বিভিন্ন দেশের টিকা ও ওষুধ সংগ্রহের সক্ষমতার বিষয়টি মহামারির সময়ে উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু রোধ করতে এবং মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভ্যাকসিনের ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার অপরিহার্য। ওষুধ নীতি এবং মেধাসত্ব আইন বিশেষজ্ঞ এলেন টি'হোয়ান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ওষুধ প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে প্রয়োজনের তিনভাগের এক ভাগ। \"এসব টিকা ধনী দেশগুলিতে উৎপাদিত হয় এবং সাধারণত ধনী দেশগুলোই তা সংরক্ষণ করে থাকে।\" \"উন্নয়নশীল দেশগুলি বলছে যে তারা এই সুযোগের ভাগ চান, কেবল টিকার অংশই নয়, এই টিকাগুলো উৎপাদন করার অধিকারেরও চেয়েছেন তারা,\" তিনি যোগ করেন। একটি টিকা তৈরির জন্য আপনার কেবলমাত্র ওই পেটেন্ট বা সরঞ্জামের প্রয়োজন তা নয়, আপনার এই টিকা উৎপাদনের অধিকারও থাকতে হবে, কীভাবে এটি তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি বেশ জটিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পেটেন্টগুলো পাশ কাটিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার নেই - তবে তারা টিকা সরবরাহ কিভাবে জোরদার করা যায় তা বের করতে বিভিন্ন দেশকে সমন্বিত করার চেষ্টা করছে। আলোচনার মধ্যে রয়েছে পেটেন্ট পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের বিধান ব্যবহার করা এবং দেশগুলোকে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা। তবে ওষুধ শিল্পগুলো বলছে, পেটেন্ট রক্ষা করা না গেলে কোভিড এবং অন্যান্য যেকোনো রোগের চিকিৎসায় ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা বাধার মুখে পড়বে। এই মাসের শুরুতে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধিরা তাদের উদ্বেগ জানাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লেখেন। \"এই সুরক্ষাগুলো তুলে নিলে মহামারির বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে,\" এই চিঠিতে তারা করোনাভাইরাসের, নতুন ধরণ মোকাবেলায় চলমান প্রচেষ্টার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। প্রতিনিধিরা বলেছেন, এটি এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে যা টিকার নিরাপত্তার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতার সৃষ্টি করবে এবং তথ্য ভাগাভাগিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। \"সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল টিকার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে উৎপাদনও ঝুঁকির মুখে পড়বে।,\" তারা যোগ করেছে। এতে অন্যরাও একমত। ভ্যাকসিন ইমিউনলজির বিশেষজ্ঞ অ্যান মুর ভবিষ্যতের গবেষণায় পেটেন্ট কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে চিন্তিত। \"সময়ের সাথে সাথে আমরা দেখছি যে অনেক কম সংস্থা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই টিকা উৎপাদনের সাথে আছে। কারণ এতে লাভ খুব কম।\" তিনি বলেন। ওষুধ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে যে তারা মহামারি মোকাবেলায় আর্থিক অনুদান ও ওষুধ দিয়েছে। তবে প্রচারকারীদের দাবি ১২ হাজার ৫শ কোটি ডলার অর্থ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা এবং টিকার উন্নয়নের পেছনে ব্যয় হয়েছে। এবং এই অর্থ সাধারণ মানুষের অর্থ, তাই মানুষের এই ভাগ পাওয়া উচিৎ। একবার এই মহামারি বিদায় নিলে, প্রচুর অর্থোপার্জন করা যাবে বলে তারা জানান। \"এটি স্পষ্ট যে মহামারির কঠিন মুহূর্তটি শেষ হওয়ার পরে এই টিকাগুলোর দাম বাড়ানোর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। সুতরাং উন্নয়নশীল দেশগুলো বলছে যে আমাদের এখন এসব টিকা তৈরি করার দক্ষতা অর্জন করা আরও বেশি প্রয়োজন \"মিসেস টি'হোয়ান বলেছেন।", "doc2": "De nombreux experts affirment qu'un accès équitable aux vaccins est essentiel pour l'immunité de la population mondiale. Plusieurs pays pauvres ont demandé à l'Organisation mondiale de la santé (OMS) de les aider. Mais les nations plus riches s'opposent aux dispositions du droit international qui leur permettraient d'y parvenir. C'est ce qui ressort d'une fuite du texte de négociation d'une résolution de l'OMS sur la question. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Parmi ces nations riches figurent le Royaume-Uni, les États-Unis et l'Union européenne. \"Si nous pouvions y inclure un libellé permettant aux pays de produire plus facilement plus de vaccins et plus de médicaments sur leur territoire, cela inclurait des initiatives qui financeraient et faciliteraient cela. Le Royaume-Uni est à l'opposé de l'argument qui consiste à essayer de supprimer ce genre de propositions progressistes du texte\", déclare Diarmaid McDonald, de Just Treatment, un groupe de patients pour un accès équitable aux médicaments. Un porte-parole du gouvernement britannique souligne qu'\"une pandémie mondiale exige une solution mondiale et le Royaume-Uni est à l'avant-garde, faisant avancer les efforts pour garantir un accès équitable aux vaccins et aux traitements Covid dans le monde entier\". #LaVieAvecLeCorona ou comment la pandémie met à l'épreuve nos capacités d'adaptation. Le porte-parole précise que le Royaume-Uni est l'un des principaux donateurs aux efforts internationaux visant à garantir que plus d'un milliard de doses de vaccins contre le coronavirus parviennent aux pays en développement cette année. La question de savoir si et quand les gouvernements doivent intervenir pour garantir un approvisionnement abordable en médicaments est une question de longue date. Mais la capacité des différents pays à s'approvisionner en vaccins et en médicaments a été mise en évidence par la pandémie. De nombreux experts affirment qu'un accès équitable aux vaccins est essentiel pour prévenir les cas et les décès et contribuer à l'immunité de la population mondiale. Mais la capacité mondiale de production de vaccins représente environ un tiers de ce qui est nécessaire, selon Ellen t'Hoen, experte en politique des médicaments et en droit de la propriété intellectuelle. \"Ce sont des vaccins qui sont produits dans les pays riches et qui sont en général conservés par ces pays riches\", dit-elle. \"Les pays en développement disent que nous devons avoir une part du gâteau, non seulement la part des vaccins, mais aussi la part du droit de produire ces vaccins\", ajoute-t-elle. f Pour fabriquer un vaccin, il faut non seulement avoir le droit de produire la substance dont il est composé (qui est protégée par des brevets), mais aussi savoir comment le fabriquer, car la technologie peut être complexe. L'OMS n'a pas le pouvoir de contourner les brevets, mais elle tente de réunir les pays pour trouver un moyen de renforcer l'approvisionnement en vaccins. Les discussions portent notamment sur l'utilisation des dispositions du droit international pour contourner les brevets et aider les pays à avoir la capacité technique de les fabriquer. Mais l'industrie pharmaceutique fait valoir que l'érosion des brevets entraverait sa capacité à investir dans les traitements futurs du Covid et d'autres maladies. Au début du mois, des représentants de l'industrie pharmaceutique américaine ont écrit au président américain Joe Biden pour lui faire part de leurs préoccupations. \"L'élimination de ces protections compromettrait la réponse mondiale à la pandémie\", ont-ils écrit, y compris les efforts en cours pour s'attaquer aux nouvelles variantes. Cela créerait également une confusion qui pourrait potentiellement miner la confiance du public dans la sécurité des vaccins, et créerait un obstacle au partage d'informations, ont plaidé les représentants. \"Plus important encore, l'élimination des protections n'accélérerait pas la production\", ont-ils ajouté. D'autres sont d'accord. Anne Moore, experte en immunologie des vaccins, s'inquiète de l'impact que l'affaiblissement des brevets aura sur les recherches futures. \"Au fil du temps, nous constatons que de moins en moins d'organisations et de sociétés commerciales sont présentes dans le domaine des vaccins, car le rendement est si faible\", dit-elle. Les entreprises pharmaceutiques soulignent qu'elles ont également fait des dons financiers et offert des médicaments pour aider à lutter contre la pandémie. Mais les activistes soutiennent qu'environ 90 milliards de livres sterling (+ de 68 543 milliards FCFA) de fonds publics ont été consacrés au développement de traitements et de vaccins contre le Covid, et que le public devrait donc être concerné. Une fois la pandémie terminée, il y aura beaucoup d'argent à gagner, disent-ils. \"Il est évident qu'il existe des plans à plus long terme pour augmenter le prix de ces vaccins une fois que la phase la plus urgente de la pandémie sera terminée. C'est donc une autre raison pour laquelle les pays en développement disent que nous devons acquérir la capacité de produire ces vaccins nous-mêmes dès maintenant\", explique Mme t'Hoen. Regarder : v"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48361347", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-48365616", "doc1": "মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন। এই আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর পর নিজের শরীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরির নির্দেশনা দিয়ে যেতে পারবেন। প্রচলিত রীতির কবর দেয়ার বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতিকে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিকল্প সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাটির সঙ্গে মিশে মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হবে, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন। ওয়াশিংটন রাজ্যের গভর্নর জে ইনস্লে মঙ্গলবার স্বাক্ষর করার পর ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। বিলের পক্ষে আন্দোলনকারী ক্যাটরিনা স্পাড এএফপিকে বলেছেন, ''সাধারণ কবর দেয়ার বদলে এরকম মাটির সাথে মিশে যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হবে প্রাকৃতিক, নিরাপদ, স্থায়ী এবং পৃথিবীর ভূমির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।'' তিনি এজন্য একটি কোম্পানি গঠন করেছেন, যারা এ ধরণের কাজে সহায়তা করবে। আরো পড়ুন: কবর বা দাহ নয়, মৃতদেহ 'গলিয়ে' সৎকার যে গ্রামে মৃতদের খাবার না দিয়ে কেউ খায় না মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা বজ্রপাতে নিহতদের মৃতদেহ ঘিরে কী রহস্য পরিবেশ বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করবে? মিজ স্পাড বলছেন, ছয়টি কোণ বিশিষ্ট একটি ইস্পাতের বাক্সের ভেতর এক ধরণের উদ্ভিদ-যা প্রাণী দেহ কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে, কাঠের টুকরো আর খড়কুটো দিয়ে মৃতদেহ রাখা হবে। এরপর সেই বাক্সটি বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই মৃতদেহ পচে যাবে এবং মাটিতে পরিণত হবে। পরিবেশ-বান্ধব সমাধি প্রকৃতি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ মাসের প্রথমদিকে জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেতা লুক পেরিকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি 'মাশরুম স্যুইটে' সমাধিত করা হয়েছে। ওই স্যুইটের নির্মাতা জে রাইম লি বলেছেন, যখন কোন মৃতদেহ মাটিতে সমাধি দেয়া হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তখন যে বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে মেশে, এই প্রক্রিয়ার ফলে সেটি কমে যাবে। মানব মৃতদেহকে সারে পরিণত করার প্রক্রিয়াটি এরমধ্যেই সুইডেনে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। কোন বাক্স বা কফিন ছাড়া মৃতদেহ সমাধির প্রাকৃতিক সমাধি প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যে আইনগত বৈধতা পেয়েছে। অনেক ধর্মে অবশ্য মৃত্যুর পর কোনরকম বাক্স বা কৃত্রিম সরঞ্জাম ছাড়া মৃতদেহ সমাধি করার নিয়ম রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাশ্মীরে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বেসামরিক মানুষ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সমস্যার সমাধান সৌম্য সরকার? পাকিস্তানে শত শত শিশু কেন এইচআইভিতে আক্রান্ত? নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক", "doc2": "Une nouvelle loi à Washington permet de transformer les corps humains en terre. Cette loi promulguée par le gouverneur Jay Inslee permet aux gens de choisir, avant leur mort, que leur corps soit transformé en terre, qui sera remise à leurs proches. Ces derniers pourront l'utiliser pour planter des fleurs, des légumes ou des arbres. Cette nouveauté est considérée comme une alternative aux crémations et aux enterrements, surtout dans des villes qui ne disposent pas assez de terre pour les cimetières. Lire aussi: Cameroun : trafic d'ossements humains à Bamenda Elle rencontre son prince en discothèque Washington prépare l'envoi de soldats en RDC Le compostage humain est considéré comme une alternative aux enterrements dans les cimetières. \"La recomposition offre une alternative à l'embaumement, à l'enfouissement ou à la crémation qui est naturelle, sûre et durable. Elle permettra de réduire considérablement les émissions de carbone et l'utilisation des sols\", a déclaré Katrina Spade à l'Agence France-Presse. Fondatrice d'une société qui pourrait être la première à fournir ce service, elle a fait pression sur les législateurs pour que la loi soit adoptée. Méthode du compostage humain Selon Mme Spade, le processus consiste à placer un corps et l'enfermer dans un conteneur hexagonal en acier rempli de luzerne, de copeaux de bois et de paille. Au bout de 30 jours, le corps naturellement décomposé produit deux brouettes de terre. Il a été révélé en début de ce mois qu'un processus similaire a été utilisé pour feu Luke Perry. L'acteur a été enterré dans un \"costume champignon\" en Californie. Jae Rhim Lee, le créateur de la combinaison écologique, affirme qu'elle réduit la quantité de polluants toxiques qui sont libérés dans l'environnement lors de la décomposition et de la crémation du corps. Le compostage humain est légalisé aussi en Suède. Regarder: Kinshasa: des habitations en plein cimetière"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46394190", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-46392660", "doc1": "১৯ ৮০র দশকে সংঘটিত তিনটি খুনের অপরাধে ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয় স্যামুয়েল লিটলকে। (ফাইল ছবি) প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তার স্বীকারোক্তিতে দেয়া তথ্যের সাথে ১৯৭০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যে ডজন ডজন নারী হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সাথে খতিয়ে দেখছে। তদন্তকারীরা বলছেন এরইমধ্যে ৩৪টি হত্যার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং আরও অনেকগুলোতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত কিনা, তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তারা। লিটল তিনজন নারীকে হত্যার দায়ে ২০১৪ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কারাভোগ করছেন। ২০১২ সালে কেন্টাকিতে গৃহহীনদের একটি আশ্রয়-শিবির থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮৭ এবং ১৯৮৯ সালে নিহত তিন নারীর মৃত্যুর রহস্য উদঘটিত না হওয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে মি লিটল এর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই তিনজন নারীর প্রত্যেককে প্রচুর মারধোর করা হয়েছিল এবং তাদের দেহ আলাদা আলাদাভাবে ফেলে দেয়ার আগে শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া হয়েছিল। বিচারের সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত প্যারোলের কোন সুযোগ না রেখে তাকে টানা তিন-দফা যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এর আগেও তার ব্যাপক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড ছিল, যার মধ্যে ধর্ষণ এবং সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগও ছিল। আরো পড়তে পারেন: জামায়াতকে ধানের শীষ: কিভাবে দেখছে ঐক্যফ্রন্ট? বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হলে কী সুবিধা পাওয়া যায়? 'হাজার বছর ধরে বিচ্ছিন্ন জাতি থেকে বেঁচে ফিরেছি' মা অড্রে নেলসনের ছবি হাতে পার্ল নেলসন (বামদিকে), যাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্যামুয়েল লিটল। এই অপরাধ স্বীকারোক্তির পর লিটল'কে এফবিআইর সহিংসতা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ক একটি প্রকল্পে পাঠানো হয় যেখানে এ ধরনের সিরিয়াল কিলারদের সহিংসতা এবং যৌন অপরাধের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যতে অমীমাংসিত অপরাধের রহস্য-জট খুলতে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে তথ্য শেয়ার করা হয়। এই প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, তখন তারা \"বিপজ্জনক একটি ধরন\" এবং মার্কিন মুল্লুক-জুড়ে এ ধরনের আরও হত্যার সাথে \"যোগসূত্র\" খুঁজে পান। টেক্সাসের ওডিসিতে একটি অমীমাংসিত ঠাণ্ডা মাথায় সংঘটিত খুনের মামলা, যেখানে ডেনিস ক্রিস্টির স্বজনরা তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর চড়াও হয়। স্থানীয় একজন রেঞ্জার জেমস হল্যান্ড তখন ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছিলেন ভায়েলেন্ট ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশন প্রোগ্রাম বা ভাইক্যাপের দলের সদস্যদের সাথে, মি লিটল এর সাক্ষাতকার নিতে। তারা জানায়, লিটল তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হন কারণ তার উদ্দেশ্য ছিল জেলখানা থেকে বের হওয়া। এফবিআই বলছে, লিটল সর্বমোট ৯০টি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে- যার বিস্তৃতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেরিল্যান্ড পর্যন্ত। স্যামুয়েল ম্যাকডোয়েল নামেও পরিচিত এই সিরিয়াল কিলার এই সপ্তাহের শুরুর দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভাইক্যাপ দলের মেম্বাররা বলেন, তারা অন্তত ৩৪টি হত্যার ব্যাপারে স্পষ্ট ভিত্তি খুঁজে পেয়েছে, আরও অনেকগুলোর নিশ্চয়তা পাওয়া বাকি রয়েছে। মে মাসের ওই সাক্ষাতকারে রেঞ্জার হল্যান্ডকে তিনি প্রতিটি জায়গায় কতজনকে হত্যা করেছেন তাদের সংখ্যা জানান। যেমন \"জ্যাকসন মিসিসিপিতে একজন, সিনসিনাটি, ওহাইওতে একজন, ফিনিক্স,অ্যারিজোনায় তিনজন, লাস-ভেগাস, নেভাডায় একজন \"। তাদের ধারনা মি. লিটল বিশেষ করে প্রান্তিক এবং দরিদ্র নারীদের টার্গেট করতেন, তবে তাদের অনেকেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত কিংবা মাদকাসক্ত ছিল। তদন্তকারীরা বলছেন, তাদের মরদেহ প্রায়ই অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে ফেলে যাওয়া হতো এবং তাদের মৃত্যু তদন্তহীন থেকে যেত। এফবিআই বলছে ৭৮বছর বয়সী এই বুড়ো \"খারাপ শারীরিক অবস্থার মধ্যে\" আছেন এবং সম্ভবত তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টেক্সাসের কারাগারেই থাকতে হবে। ওডিসি হত্যার ঘটনার স্বীকারোক্তির পর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তাকে সেখানে নেয়া হয়। ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বলছে, তারা রেঞ্জার হল্যান্ডের পাশাপাশি কাজ করছে যিনি কিনা \"প্রায় প্রতিদিনই\" লিটলের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। উদ্দেশ্য, সংঘটিত অপরাধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে আনা। \"এই ঘটনার ক্ষেত্রে সবচে বড় যে শিক্ষাটি সেটি হল তথ্য বিনিময়ের শক্তি বা ক্ষমতা\"-এফবিআই রিপোর্টে এমন মত দিয়েছেন একজন অপরাধ বিশ্লেষক ।", "doc2": "Peu de personnes ont été condamnées à la prison à perpétuité sans possibilité de libération conditionnelle en 2014 pour trois meurtres commis dans les années 1980 (photo au dossier). Le FBI pense que Samuel Little, 78 ans, est peut-être l'un des tueurs en série les plus prolifiques de l'histoire criminelle américaine. Les services de l'État et les organismes fédéraux s'efforcent maintenant de faire correspondre ses aveux aux dizaines de femmes qui sont décédées dans tout le pays entre 1970 et 2005. Les enquêteurs disent qu'ils l'ont déjà relié à 34 meurtres et qu'ils travaillent à en corroborer plusieurs autres. Little purge actuellement une peine d'emprisonnement à perpétuité après avoir été condamnée en 2014 pour le meurtre de trois femmes. Pearl Nelson (à gauche) tient une photo de sa mère Audrey Nelson, tuée par Little. Il est en détention depuis septembre 2012, date à laquelle il a été arrêté dans un refuge pour sans-abri du Kentucky et transféré en Californie où il était recherché pour trafic de drogue. Des échantillons d'ADN prélevés à Little ont ensuite été liés à la mort non résolue de trois femmes dans le comté de Los Angeles en 1987 et 1989. Ces trois victimes avaient été battues et étranglées avant que leurs corps ne soient démembrés et jetés. Lire aussi: Elle tue son amant et prépare un plat avec son corps Il a plaidé non coupable au procès, mais a finalement été condamné à trois peines consécutives d'emprisonnement à perpétuité sans possibilité de libération conditionnelle. Auparavant, il avait déjà un lourd casier judiciaire, avec des infractions telles que le viol et le vol à main armée. Les condamnations pour meurtre ont conduit Little à être référé au ViCAP (Violent Criminal Apprehension Program) du FBI - un programme qui analyse les crimes violents et sexuels commis en série et partage des informations avec les agences locales d'application de la loi pour faire référence aux crimes non résolus. Les responsables du programme affirment qu'ils ont ensuite découvert un \"schéma alarmant\" et des \"liens convaincants\" avec de nombreux autres meurtres à travers les États-Unis. Une affaire non résolue d'assassinat à Odessa, au Texas, d'une femme nommée Denise Christie Brothers a ensuite été poursuivie par les autorités locales. \"Un ranger local, James Holland, s'est ensuite rendu en Californie avec des membres de l'équipe ViCAP plus tôt cette année pour interviewer Little. Ils disent que Little a accepté de leur parler parce qu'il espérait changer de prisons. Lire aussi: Un garçon de 9 ans \"tué pour n'avoir pas fait ses devoirs \" Une photo récente de Little, qui se serait aussi fait appeler Samuel McDowell. Le FBI dit que Little a avoué jusqu'à 90 meurtres au total - ce qui étend les États à l'ensemble des États-Unis, de la Californie au Maryland. L'équipe ViCap a déclaré dans un communiqué de presse publié plus tôt cette semaine qu'elle avait jusqu'à présent établi ses liens avec 34 décès, et que de nombreux autres étaient apparemment en attente de confirmation. Lire aussi: Une récompense de 10.000 dollars pour retrouver des ravisseurs Le FBI affirme que le jeune homme de 78 ans est \"en mauvaise santé\" et qu'il va probablement rester en prison au Texas jusqu'à sa mort, où il a été transféré de Californie après avoir admis le meurtre d'Odessa."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47466420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47458960", "doc1": "বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার কাইলি জেনার। কার্দাশিয়ান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ আয় করেছেন প্রসাধনীর ব্যবসা থেকে। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী 'কাইলি কসমেটিকস' এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনবছর আগে তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে আনুমানিক ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রসাধন বিক্রি করেছে। এর আগে ২৩ বছর বয়সে সর্বকনিষ��ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। \"আমি এরকম কিছু আশা করিনি। আমি ভবিষ্যৎ অনুমান করিনি।\" \"কিন্তু স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে, মনে হচ্ছে কেউ উৎসাহ দিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলো\", ফোর্বসকে বলেন মিজ. জেনার। তালিকা অনুযায়ী, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তি। আরো পড়তে পারেন: বাড়িতে পোষা সিংহের হাতে নিহত যুবক যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে মি. বেজোসের মোট মূল্য ৯.১ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৭ ট্রিলিয়নে নেমেছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণও গত এক বছরে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গতবছর ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস সংশ্লিষ্ট কেলেঙ্কারির কারণে ফেসবুকের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। বিশ্বের সকল বিলিয়নিয়ারদের এই তালিকায় নারীর সংখ্যা মাত্র ২৫২ জন। স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান চীনের ওউ ইয়াজুন, যার আনুমানিক মূল্য ৯.৪ বিলিয়ন ডলার। এবারই প্রথম স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিলিয়নিয়ার নারীর সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ৭২ জনে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৫৬। ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে কার কত সম্পদ আছে সে অনুযায়ী ফোর্বসের এই বিলিয়নিয়ারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ঐ দিন সারাবিশ্বে মূদ্রার বিনিময় হার এবং স্টকের মূল্য বিচার করে করা হয় তালিকাটি। ফোর্বস বলছে - ২০১৯' বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫৩ জন, যেখানে ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২,২০৮। বিশ্বের শীর্ষ দশজন ধনীর তালিকায় রয়েছনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। বিলিয়নিয়ারদের গড় মূল্য ৪.১ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ফোর্বসের মতে, এই বিলিয়নিয়ারদের ৯৯৪ জনের সম্পদের পরিমাণই আগের বছরের চেয়ে কমেছে। এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের নাগরিক রয়েছেন ৫২ জন - যাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীচান্দ হিন্দুজা এবং গোপিচান্দ হিন্দুজা। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিন্দুজা গ্রুপের কর্ণধার এই দুই ভাইয়ের মোট মূল্য ১৬.৯ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়নিয়ার রয়েছেন ৬০৭ জন, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন, যাদের বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩২৪ জন। তবে চীনা বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। নতুন ৪৪ জন চীনা নাগরিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কিন্তু ১০২ জন তালিকা থেকে বাদও পরেছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় থাকা ২৪৭ জন বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৈধ হ্যাকিং করে কোটিপতি যে কিশোর", "doc2": "Kylie Jenner est devenue la plus jeune milliardaire du monde. La plus jeune membre de la famille Kardashian tire sa fortune de son entreprise de cosmétiques qui bat des records de vente.Cette jeune femme de 21 ans a fondé et possède Kylie Cosmetics, une entreprise de beauté créée il y a trois ans. Sa société a généré des ventes estimées à 360 millions de dollars l'an dernier. A lire : Tweet de Kylie Jenner : Snapchat perd 1,3 Mds Le plus ‘jeune milliardaire’ d'Afrique kidnappé Elle a rejoint le club des milliardaires plus tôt que le fondateur de Facebook, Mark Zuckerberg, qui est devenu milliardaire à 23 ans.\"Je ne m'attendais à rien. Je n'avais pas prévu l'avenir. Mais [la reconnaissance] fait du bien. C'est un bel encouragement \", a déclaré Mme Jenner à Forbes. Jeff Bezos, le fondateur d'Amazon, reste en haut du classement des personnes les plus riches du monde. La dernière liste en date des personnes les plus riches du monde montre que le fondateur d'Amazon, Jeff Bezos, reste en haut du podium.Sa fortune s'élève à 131 milliards de dollars, selon Forbes, en hausse de 19 milliards de dollars par rapport à 2018. A lire : Dangoté milliardaire et philanthrope Décès du milliardaire sénégalais Aliou Ardo Sow Le fondateur de Facebook, Mark Zuckerberg, fait partie de ceux dont la fortune a diminué.Ses actions ont perdu un tiers de leur valeur lorsque l'entreprise a été confrontée à des scandales en matière de protection de la vie privée. Le magnat chinois de l'immobilier, Wu Yajun, est la femme la plus riche du monde. De tous les milliardaires sur la liste, seuls 252 sont des femmes. La plus riche est le magnat de l'immobilier Wu Yajun de Chine, avec une fortune estimée à 9,4 milliards de dollars. Luisa Kroll, rédactrice en chef adjointe du magazine Forbes, a déclaré : \"malgré les vents contraires, les entrepreneurs débrouillards et dotés d'une motivation sans relâche trouvent de nouvelles façons de s'enrichir.\" A lire : Un milliardaire japonais, premier touriste sur la Lune AfSud: milliardaire par erreur, elle fait la fête Les États-Unis est le pays qui compte le plus de milliardaires, avec 607 personnes affichant des comptes en banque à 9 zéros. La Chine vient au deuxième rang avec 324 milliardaires. Selon Forbes, 247 personnes ont disparu de la liste des milliardaires comparé à l'année dernière. Parmi elles se trouvent Domenico Dolce et Stefano Gabbana, créateurs de mode et co-fondateurs de Dolce & Gabbana. Top 10 des personnes les plus riches du monde."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51812506", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51817498", "doc1": "কোভিড-১৯ রোগটির কারণে জ্বর, কাশ এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কোভিড-১৯ রোগটির কারণে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এটি পুরো বিশ্বের এক লাখ ১১ হাজার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। রোগটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে চীন এবং অন্য দেশের আক্রান্তদের নিয়ে গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দল। তারা বলছেন, ৫ দিন বা এর আশপাশের দিনগুলোতেই মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকলেও যাদের মধ্যে ১২ দিন পর্যন্ত কোন উপসর্গ দেখা দেয় না তাদের আর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তখনও তারা ভাইরাসটির বাহক হিসেবে কাজ করেন এবং তাদের কাছ থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, যারা ভাইরাসটির বাহক বা সংক্রামক তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিক আর না দিক, তারা যাতে ১৪ দিন স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থাকে যাতে তাদের মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হয়ে না পড়ে। তারা যদি এই নির্দেশনা মেনে চলে- তাহলে ধারণা করা হচ্ছে যে, যদি ১০০ জনকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় তাহলে বের হয়ে আসার পর তাদের মধ্যে অন্তত একজনের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন নামে একটি চিকিৎসা বিষয়ক জার্নালে। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এই নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে। জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর প্রধান গবেষক অধ্যাপক জাস্টিন লেসলার বলেন, ১৮১ টি নমুনা বিশ্লেষণ করে পাওয়া এই তথ্য এখন পর্যন্ত দ্রুত সময়ে পাওয়া সবচেয়ে যথার্থ অনুমান। তবে ভাইরাসটি নিয়ে এখনো আরো অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে বলেও জানান তিনি। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে যেভাবে হাত ধুতে হবে সর্বোপরি কতজন মানুষের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে এই গবেষণায় সেটি পরিমাপ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় তারা মৃদু সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেকে উপসর্গ প্রতিরোধী হয়ে থাকে অর্থাৎ তার মধ্যে ভাইরাস থাকলেও কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই রোগটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হয়ে দেখা দিতে পারে-বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাদের মধ্যে আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে এই শঙ্কা বেশি থাকে। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের মলিকুলার ভাইরোলজির বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জোনাথন বল বলেন, গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসটির উন্মেষ পর্ব ১৪ দিন থাকে এবং এ কারণেই কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন রাখার কথা বলা হয়। আর আশার কথা হচ্ছে, \"উপসর্গ প্রতিরোধী অবস্থায় থাকাকালীন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রমাণ থাকলেও তা খুবই নগণ্য।\" নিজেকে সুরক্ষিত রাখার এবং সংক্রমণ প্রতিহত করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে: •আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা •আধোয়া ���াত চোখ, নাক এবং মুখে না দেয়া •হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা এবং সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা •সাবান এবং পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া। বিবিসি বাংলার আরো খবর পড়ুন: করোনাভাইরাস যেভাবে কেড়ে নিল এক বাংলাদেশির প্রাণ খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লেখা চিঠিতে যা আছে শেখ মুজিব কীভাবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নেতা হয়েছিলেন?", "doc2": "La maladie Covid-19, qui peut provoquer de la fièvre, de la toux et des problèmes respiratoires, se répand dans le monde entier et a déjà touché plus de 114 000 personnes. Une équipe de scientifique américaine a analysé des cas connus en Chine et dans d'autres pays pour mieux comprendre la maladie. La plupart des personnes qui développent des symptômes le font au cinquième jour ou aux alentours. Les personnes qui ne présentent plus de symptômes au douzième jour ont peu de chances d'en avoir, mais elles peuvent néanmoins être porteuses de l'infection. Les chercheurs conseillent aux personnes qui pourraient être contagieuses - qu'elles présentent ou non des symptômes - de s'isoler pendant 14 jours pour éviter de transmettre la maladie à d'autres personnes. S'ils suivent ces conseils - qui ont déjà été adoptés au Royaume-Uni et aux États-Unis - on estime que pour 100 personnes mises en quarantaine pendant une quinzaine de jours, l'une d'entre elles pourrait développer des symptômes après avoir été libérée, rapporte Annals of Internal Medicine. Le professeur Justin Lessler, chercheur principal de l'école de santé publique Johns Hopkins Bloomberg, a déclaré que ces résultats étaient la meilleure estimation \"rapide\" que nous ayons à ce jour, sur la base de 181 cas au total. A lire sur le coronavirus Illustration d'un hôpital à Wuhan Mais il a ajouté que nous avons encore beaucoup à apprendre sur le virus. On ne sait pas exactement combien de personnes développent des symptômes en général - l'étude n'a pas évalué cela. Les experts estiment que la plupart des personnes qui contractent l'infection n'auront qu'une maladie bénigne. Certains seront asymptomatiques, c'est-à-dire porteurs du virus mais ne présentant aucun symptôme. Mais la maladie peut être très grave et même mortelle pour certains - généralement des personnes âgées ayant des problèmes de santé préexistants. Le professeur Jonathan Ball, expert en virologie moléculaire à l'université de Nottingham, a déclaré que l'étude confirmait que dans la grande majorité des cas, la période d'incubation et donc de quarantaine pour le nouveau coronavirus, pouvait aller jusqu'à 14 jours. Et, ce qui est encourageant : \"il y a peu de preuves, voire aucune, que les gens peuvent transmettre le virus de façon routinière pendant la période asymptomatique.\" On pense que les gens sont plus contagieux lorsqu'ils présentent des symptômes évidents, comme la toux et la fièvre. Il est possible que le virus se propage avant l'apparition des symptômes, mais ce n'est pas le principal mode de transmission. La meilleure façon de se protéger et de prévenir l'infection est :"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51321472", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51614027", "doc1": "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া প্রথম ৯৯জন রোগীর স্বাস্থ্যের ব্যাখ্যা দেন চিকিৎসকরা। কীভাবে এটি শরীরে আক্রমণ করে? লক্ষণগুলো কী কী? কাদের গুরুতর অসুস্থ বা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে? আপনি কিভাবে এর চিকিৎসা করবেন? এখন, এই মহামারী চীনের যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই উহান শহরের জিনিনটান হাসপাতালে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা চিকিৎসকরা এখন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করেছেন। সেখানে চিকিৎসা জন্য আসা প্রথম ৯৯ জন রোগীর বিশদ বিশ্লেষণ ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ফুসফুস আক্রমণ হাসপাতালে নেওয়�� ৯৯ জন রোগীর প্রত্যেকেরই নিউমোনিয়া হয়েছিল - তাদের ফুসফুস ফুলে উঠেছে। কারণ ফুসফুসে যে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ থাকে, যার মধ্যে দিয়ে বাইরের বাতাস থেকে আসা অক্সিজেন রক্তে প্রবাহিত হয়, সেই প্রকোষ্ঠগুলোয় পানি জমে গেছে। অন্যান্য লক্ষণগুলি হল: ১. ওই ৯৯জন রোগীর মধ্যে ৮২ জনের জ্বর ছিল। ২. ৮১ জনের ছিল কাশির সমস্যা। ৩. শ্বাসকষ্টে ভুগছিল ৩১ জন। ৪. পেশী ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিল ১১জন। ৫. দ্বিধাগ্রস্ততা বা বিভ্রান্তির মুখে পড়েছিল ৯জন রোগী। ৬. তীব্র মাথাব্যথা ছিল আটজনের। ৭. পাঁচজনের ছিল গলা ব্যথার সমস্যা। চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত হয় প্রথম মৃত্যু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার প্রথম দুজন রোগী আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ ছিলেন, যদিও তারা দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করতেন এবং যেটা তাদের ফুসফুস দুর্বল করে দিয়েছিল। হাসপাতালে আসার পরে প্রথমে যিনি মারা যান, তিনি ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি গুরুতর নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তার তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়েছিল, এর অর্থ নিজের দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার ফুসফুস, অন্যান্য অঙ্গগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছিল না। একটি ভেন্টিলেটর লাগানো সত্ত্বেও তার ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ে এবং তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১১ দিনের মাথায় মারা যান ওই ব্যক্তি। মারা যাওয়া দ্বিতীয় রোগীর বয়স ছিল ৬৯ বছর। তিনিও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শরীরে একটি কৃত্রিম ফুসফুস বা ইসিএমও (এক্সট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন) মেশিন যুক্ত করা হয়। তবে সেটাও তার জন্য যথেষ্ট ছিল না। গুরুতর নিউমোনিয়া এবং সেপটিক শক থেকে তাঁর রক্তচাপ অস্বাভাবিক পড়ে যায়। এতে তিনি মারা যান। আরও পড়তে পারেন: চীনা নাগরিকদের তালিকা, কী করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য কমপক্ষে ১০% রোগী মারা যান ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৯জন রোগীর মধ্যে: ১. ৫৭ জন এখনও হাসপাতালে আছে। ২. ৩১ জন রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয়। ৩. ১১জন রোগী মারা যান। এর অর্থ এই নয় যে এই রোগের মৃত্যুর হার ১১%, যদিও এখনও হাসপাতালে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যেতে পারেন। আবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের মধ্যে লক্ষণগুলো এতোটাই হালকা যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ছে না। বাজার কর্মীরা উহান শহরের হুয়ানান সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই সংক্রামক ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বলা হচ্ছে ওই বাজারে বিক্রি হওয়া জীবন্ত প্রাণীগুলো এই ভাইরাস ছড়ানোর পেছনে দায়ী। এই সংক্রমণকে বলা হচ্ছে ২০১৯-এনসিওভি বলে। যার অর্থ ২০১৯ সালে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস। আর ৯৯জন রোগীর মধ্যে ৪৯ জনেরই এই বাজারে সরাসরি যাওয়া আসা ছিল: হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রথম ৯৯জন রোগীর মধ্যে ৪৭ জন রোগী ওই বাজারটিতে কাজ করতেন। কেউ হয়তো ম্যানেজার ছিলেন অথবা কেউ ছিলেন দোকান কর্মী। এছাড়া দু'জন ছিলেন সাধারণ ক্রেতা। যারা কিছু কেনাকাটার জন্য ওই বাজারটিতে হাজির হয়েছিলেন। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মধ্যবয়সী পুরুষরা। ৯৯ জন রোগীর বেশিরভাগই মধ্যবয়সী ছিলেন, যাদের গড় গড় বয়স ৫৬ বছর। এবং ওই ৯৯জনের মধ্যে ৬৭ জনই পুরুষ। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলোয় এই রোগে আক্রান্ত হওয়া নারী পুরুষের সংখ্যার ব্যবধান অনেকটাই কমে আসে। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রসমূহ জানিয়েছে যে প্রতি ১ জন নারীর অনুপাতে ১.২ জন পুরুষ সংক্রামিত হয়েছেন। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানের সব গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নারী ও পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার এই ব্যবধান নিয়ে দুটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা রয়েছে: ১. পুরুষদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে এবং তাদের হাসপাতালের চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ২. সামাজিক বা সাংস্কৃতিক কারণে এই প্রাদুর্ভাবের শুরুতে পুরুষদের ভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকতে পারে। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক লি ঝাং বলেছেন: \"এক্স ক্রোমোজোম এবং যৌন হরমোনের কারণে নারীদের শরীর তেমন ভাইরাস সংবেদনশীল হয় না অর্থাৎ তাদের ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখে।\" যারা ইতিমধ্যে অসুস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ওই ৯৯জনের মধ্যে বেশিরভাগই অন্যান্য নানা রোগে আক্রান্ত ছিল, যা ওই রোগীদের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আগে থেকেই দুর্বল করে দেয়, ফলে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে না। ৪০জন রোগী আগে থেকেই দুর্বল হার্ট, না হলে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনাল��র সমস্যায় ভুগছিলেন। যার কারণে তারা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এছাড়া ১২ জন রোগীর ডায়াবেটিস ছিল।", "doc2": "Comment s'attaque-t-il au corps ? Quels sont les différents symptômes ? Qui est le plus susceptible d'être gravement malade ou de mourir ? Comment le traite-t-on ? Des études menées par des médecins en première ligne de l'épidémie à Wuhan, en Chine, ont commencé à apporter des réponses à toutes ces préoccupations. Une infection généralement bénigne Un rapport des Centres chinois de contrôle des maladies a examiné plus de 44 000 cas confirmés de la maladie. Les conclusions indiquent que : Les hommes et les femmes ont une probabilité égale d'être infectés, contrairement aux premiers rapports qui laissaient entendre que la maladie touchait surtout les hommes. Fièvre et problèmes pulmonaires Le virus, Sars-CoV-2, infecte les tissus et les voies respiratoires en profondeur dans les poumons plutôt que dans le nez. La fièvre, la fatigue et une toux sèche sont les symptômes les plus courants chez les patients hospitalisés. Mais tout le monde ne présente pas tous ces symptômes, selon les équipes de l'hôpital Zhongnan de l'université de Wuhan et de l'hôpital Jinyintan, à Wuhan. Les autres symptômes sont les suivants : La maladie peut évoluer vers une pneumonie - inflammation des poumons et des minuscules sacs où l'oxygène passe de l'air au sang qui se remplit d'eau - et finalement vers une défaillance des organes internes. Mais toutes ces études sont basées sur les patients les plus gravement malades qui finissent à l'hôpital. Nombre des cas les plus bénins ne sont pas détectés. Taux de mortalité Les premiers décès Les deux premiers patients qui sont morts à l'hôpital Jinyintan, dont les cas figurent dans le journal scientifique The Lancet, étaient apparemment en bonne santé, bien qu'ils aient été des fumeurs de longue date, ce qui aurait affaibli leurs poumons. Le premier, un homme de 61 ans, souffrait d'une grave pneumonie lorsqu'il est arrivé à l'hôpital. Il était en détresse respiratoire aiguë, ce qui signifie que ses poumons étaient incapables de fournir suffisamment d'oxygène à ses organes pour maintenir son corps en vie. Bien qu'il ait été mis sous respirateur, ses poumons ont lâché et son cœur a cessé de battre : il est mort 11 jours après son admission. Le deuxième patient, un homme de 69 ans, souffrait également d'un syndrome de détresse respiratoire aiguë. Il était attaché à un poumon artificiel ou à une machine ECMO (oxygénation extra-corporelle par membrane) mais cela n'a pas suffi. Il est mort d'une grave pneumonie et d'un choc septique lorsque sa pression sanguine s'est effondrée. Les plus âgés sont les plus susceptibles de mourir Les statistiques relatives au taux de mortalité de la maladie confirment une tendance de décès chez les personnes âgées. Moins de 0,5% des patients âgés de moins de 50 ans sont morts, selon les Centres chinois de contrôle des maladies. Cependant, ce chiffre atteint rapidement un pic : Ce ne sont pas les véritables taux de mortalité, car certains patients encore en traitement peuvent encore mourir et de nombreux cas bénins passent inaperçus. Et ceux qui étaient déjà malades ? Le taux de mortalité des personnes n'ayant aucun autre problème de santé est de 0,9 %. Cependant, ce taux augmente pour atteindre : Coronavirus : la Chine construit un hôpital en 10 jours"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50051616", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50253881", "doc1": "টিমোর ফ্ল্যাটের লাউঞ্জেই চালু হয়েছিল গৌস্তো টিমো বোলড্ট যখন ২৬ বছরের টগবগে উদ্যমী তরুণ ছিলেন, তখন সুপারমার্কেটে যাবার সুযোগই পেতেন না তিনি। সেই ২০১২ সালে, লম্বা সময় ধরে অফিসের কাজের পর বাসায় ফিরে সহজে রান্না করা যায়, কিন্তু যা খেতেও ভালো তেমন কিছু খেতে ইচ্ছে হতো টিমো বোলড্টের। টিমো বলছিলেন, \"অনেক সময় রান্নার সময় থাকলেও দেখা যেতো কিছু খাবার হয়তো নষ্ট হতো। কখনো আবার অনলাইনে খাবারের রেসিপি ঠিকমত করা যেতো না।\" এরকম অবস্থায় কীভাবে নিজের খাবারের সমস্যার সমাধান করবেন, কীভাবে রান্না-বান্নার বিষয়টিকে স��জ করে যায়— এই নিয়ে ভাবতে থাকেন তিনি। এই নিয়ে যখন গবেষণা শুরু করলেন তখন টিমো দেখলেন, তার মতন সময়ের টানাটানিতে যারা থাকে তাদের আসলে এমন একটা প্রতিষ্ঠান দরকার যেখানে রান্নার সকল উপাদান আগে-ভাগেই পরিমাপ করে কেটে-কুটে গুছিয়ে বাক্সে ভরে রাখা হবে। সাথে দেয়া থাকবে সহজে রান্নার রেসিপি বা দিক-নির্দেশনাটাও। তারপর সেই বাক্সটা ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দিতে হবে। ব্যাস! সেই সময়, আজ থেকে বছর সাতেক আগে, এই জাতীয় খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করার প্রতিষ্ঠান ছিল অল্প কিছু। তেমনি একটি জার্মানির 'হ্যালোফ্রেশ'। রেসিপি বক্স সরবারহের এই ব্যবসায় এখন অনেক প্রতিযোগিতা টিমোর মনে হলো, এই ধরণের খাবারের চাহিদা সামনে আরো বহুগুণ বাড়বে। তাই, একদিন চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে নিজেই এই জাতীয় খাবার সরবরাহ করার ব্যবসায় নেমে গেলেন। খুলে বসলেন তার প্রতিষ্ঠান 'গৌস্তো'। সেদিনের সেই ছোট্ট দোকানের আজ বার্ষিক বেচা-বিক্রির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এখন তার ব্যবসার লগ্নিতেও রয়েছে প্রায় সমপরিমাণ অর্থ। টিমো বোলড্টের মতন এখন আরো অনেকেই এই ব্যবসায় এসেছেন। যেমন 'সিম্পলি কুক', 'মাইন্ডফুল শেফ' ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠান মিলে এই ব্যবসা এখন একটা বৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যে এই শিল্প বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ডের অনেক বেশি ব্যবসা গড়ে তুলেছে। প্রতি মাসে গৌস্তো এক লাখের বেশি বক্স পাঠায় মানুষের কাছে ২০২৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে এই ব্যবসা প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্যে পরিণত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। গৌস্তো বর্তমানে তার লোকবল আরো বাড়াচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা যুক্তরাজ্যে ৫শ থেকে বাড়িয়ে ১২ শত হতে যাচ্ছে। টিমোর জীবন টিমোর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বার্লিনে। পরবর্তীতে লন্ডনে চলে আসেন তিনি। নিজের ব্যবসা চালু করতে সেই সময় নিজের সঞ্চয় থেকে ৭৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে গৌস্তো চালু করেন টিমো। পরে পরিবার আর বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে আরো প্রায় দেড় লাখ পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি। তবে, ব্যবসার একদম শুরুটা ছিল বলতে গেলে একেবারে কপর্দকহীন। তার উপর চাকরি ছেড়ে দেয়ায় মাস শেষে বেতনের টাকাটাও পাওয়া বন্ধ। টিমো বলছিলেন, সেই সময় সারাদিন ধরে তিনি বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে গবেষণা চালাতেন। এসব করতে-করতেই টিমোর বন্ধু-বা��্ধব ও পরিচিতজনদের মধ্যে একটা সাড়া পাওয়া যায়। তবে, ব্যবসা শুরুর পর প্রথম তিন বছর নিজে কোন অর্থ পারিশ্রমিক নিতে পারেননি। তবু দিনমান গৌস্তো নিয়ে মেতে থাকতেন তিনি। এসব করতে গিয়ে পারিবারিক জীবনেও খানিকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গৌস্তোর পাঠানো রেসিপি অনুসরণ করে বানানো খাবার টিমো বলছিলেন, \"আমি আমার গ্রাহকদেরকে নিজের নাম্বারটা দিই। যদিও এই বিষয়টা আমার স্ত্রী খুব অপছন্দ করেন। কারণ এমনকি মধ্যরাতেও কেউ-কেউ ফোন করে নিজের পার্সেলের খবর জিজ্ঞেস করে।\" শুরুর দিকে টিমোর ব্যবসাটা পূর্ব লন্ডনে ভালো করে। আরো পড়তে পারেন: যেসব খাবারে প্রতি পাঁচ জনে একজনের অকাল মৃত্যু হচ্ছে জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব তারপর তাদের মুখ থেকেই গৌস্তোর কথাটা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পরে বলে জানালেন এই ব্যবসায়ী। গৌস্তো'র যাত্রা তরুণ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বা অন্টারপ্রেনারশিপ নিয়ে বিবিসির টিভি অনুষ্ঠান 'ড্রাগন্স ডেন' এ ২০১৩ সালে অংশ নিয়েছিলেন টিমো। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে আসা পাঁচজন ব্যবসায়ীর কেউই তখন টিমর প্রতিষ্ঠানে লগ্নি করতে রাজি হননি। সেই সময়ে মাসে মাসে প্রায় ২৫ হাজার পাউন্ড করে লোকসান গুনছিলেন তিনি। বর্তমানে গৌস্তো'র অফিস রয়েছে হ্যামারস্মিথ ও ওয়েস্ট লন্ডনে। আর নিজস্ব একটা কারখানা রয়েছে লিঙ্কনশায়ারে। প্রতিমাসে গৌস্তো এখন গড়ে আড়াই লাখ প্যাকেট খাদ্য সরবরাহ করে। ব্যবসায় এখনো তার লোকসান হয় বটে। কিন্তু টিমো বলছেন, তার নজর ব্যবসা প্রসারের দিকেই বেশি। \"মুনাফার চেয়ে আমরা আরো বেশি বিনিয়োগ করতে চাই।\" ব্রেক্সিট নিয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন টিমো কারা গ্রাহক? মিন্টেল নামে একটি প্রতিষ্ঠান যেটি খুচরা বাজার বিষয়ে গবেষণা করে সেটির কর্মকর্তা নিক ক্যারোল বলছিলেন, যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভালো মূলত তারাই এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক। নিক ক্যারল আরো বলছিলেন, গৌস্তোসহ এই জাতীয় আরো যত কোম্পানি আছে তাদের জন্য সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে প্যাকেজিং বা খাবার প্যাকেটজাত করাই অন্যতম প্রধান ইস্যু। টিমো জানালেন, খাবার প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যাবহার কিভাবে আরো অন্তত ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টা তিনি করছেন। পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিকল্পও খুঁজছে তারা। খাবারের অপচয় রোধেও তারা ব্যাপকভাবে চেষ্ট�� চালাচ্ছে। এজন্য কম্পিউটারের এলগোরিদমের সাহায্যে নিচ্ছে তারা। তাছাড়া খাবারের প্যাকেটের যে মূল্য পড়ে সেটিও একটা চিন্তার কারণ। প্যাকেটের দাম গত কয়েক বছরে ১০-১৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু তবু এখনো তা সস্তা নয়। দুইজন মানুষের জন্য দুই পদের রেসিপি দিয়ে খাবারের প্যাকেট অর্ডার করলে বর্তমানে দাম পড়ে ২৪.৯৯ পাউন্ড। টিমো বলছিলেন, ২০১৭ সালে তিনি খাবারের মূল্য কিছুটা কমাতে সক্ষম হন। কারণ তখন তার ব্যবসাটা অর্থনৈতিকভাবে বড় পরিসরে বেড়ে ওঠে। তবে এই খাবার আরো সহজলভ্য করতে চান টিমো। যদিও গৌস্তোকে যুক্তরাজ্যের বাইরে ছড়িয়ে দেবার কোনো পরিকল্পনা এখনি টিমোর মাথায় নেই। তবে ব্রেক্সিটের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব তার ব্যবসায় কী পড়তে পারে - তা নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত টিমো। তার মতে, ব্রেক্সিটের ফলে, মোটাদাগে, ব্যবসায় একটা নেতিবাচক প্রভাব হয়তো পড়বে। তবে, গৌস্তো'র উপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী টিমো বোলড্ট।", "doc2": "Shahzad Younas a eu l'idée de Muzmatch alors qu'il travaillait dans le secteur bancaire. Cette semaine, nous nous entretenons avec Shahzad Younas, fondateur et directeur général du site musulman de rencontre Muzmatch. Quand Shahzad Younas est monté sur scène, il était très nerveux. C'était il y a deux ans, et l'entrepreneur britannique de 32 ans se trouvait à San Francisco pour présenter Muzmatch, une entreprise basée à Londres, à un groupe d'investisseurs très en vue. Il a ouvert son adresse à la salle en disant : \" Les musulmans ne sortent pas ensemble : ils se marient\". A lire aussi L'application est maintenant utilisée dans plus de 90 pays à travers le monde. Shahzad et son associé Ryan Brodie étaient là parce qu'ils avaient participé à un concours mondial pour obtenir le soutien de la prestigieuse société d'investissement Y Combinator de la Silicon Valley. Cette société américaine offre un soutien financier et un accompagnement à un certain nombre de nouvelles start-ups chaque année. Plus de 13.000 personnes ont posé leur candidature en même temps que Muzmatch, et c'est l'une des 800 personnes dont les projets ont été jugés sérieux qui a été invité à présenter leur projet en personne. Alors que Shahzad poursuivait son discours, les investisseurs ont vite éclaté de rire en raison de sa franchise. Muzmatch a rapidement reçu 1,75 million de dollars US, l'une des 100 start-ups qui ont été soutenues en 2017. Aujourd'hui, l'entreprise à croissance rapide affirme qu'elle compte actuellement plus d'un million d'utilisateurs enregistrés au Royaume-Uni et dans quelque 90 autres pays. Revenons à 2013 et ce n'est pas un groupe d'investisseurs que Shahzad a dû convaincre, c'est lui-même. Lire aussi Les utilisateurs de Muzmatch peuvent choisir qu'un parent puisse voir leurs conversations via l'application À l'époque, il travaillait pour une banque de la City de Londres. Il aimait son travail, mais en même temps, il s'est de plus en plus rendu compte qu'il y avait une lacune sur le marché pour une application de rencontre décente destinée aux musulmans qui cherchaient un partenaire dans leur communauté religieuse. \"À l'époque, il y avait soit ces sites Web vraiment basiques pour les musulmans, soit de grandes applications de rencontres qui n'ont pas tout à fait compris notre culture\", dit Shahzad, qui est né et a grandi à Manchester. \"Dans la communauté musulmane, beaucoup d'entre nous ont compté, et comptent encore, sur les entremetteurs [pour trouver une femme ou un mari]. Ce sont des \"tantines\" de la communauté qui connaissent les familles, et qui marieraient un fils avec la fille d'une autre famille.\" Lire aussi Son idée pour Muzmatch était que ce serait une application d'entremetteur numérique pour les musulmans qui voulaient trouver quelqu'un à marier. En 2014, Shahzad a décidé qu'il devait lancer son projet et quitter son emploi. Ryan Brodie, partenaire d'affaires, a aidé Shahzad à redessiner l'application. \"Je me réveillais à 6 heures du matin et je me couchais vers 1 ou 2 heures du matin\", dit-il. \"Je travaillais dans ma chambre à la maison, et c'était intense. J'ai dû apprendre à construire une application à partir de zéro\". \"Mais je savais que je devais faire en sorte que ça marche. L'opportunité était assez grande - il y a 1,8 milliard de musulmans dans le monde, et il est clair que personne n'avait une solution pour eux\". Shahzad a fait un lancement en douceur de l'application en 2015, et ses méthodes de marketing étaient quelque peu différentes de celles des grandes applications de rencontre. \"J'allais dans les grandes mosquées après les prières du vendredi et je distribuais des cartes pour l'application\", dit-il. \"Puis j'allais à n'importe quel événement familial musulman dont j'avais connaissance, et je les mettais littéralement sous le pare-brise\". Il peut être difficile de voir une entreprise prendre de l'expansion par soi-même et, au début, Shahzad a dit qu'il trouvait cela pénible. Lire aussi L'application permet aux utilisateurs d'indiquer leur degré de religiosité \"Je me souviens des deux premiers mois, je regardais constamment Google Analytics, qui me montrait en temps réel combien de personnes se trouvaient sur l'application\" dit-il. Une fois, il a dit qu'il avait vérifié et qu'il n'y avait que 10 personnes sur Muzmatch. Mais au fil du temps, le nombre d'utilisateurs a été multiplié par mille, principalement grâce au bouche-à-oreille positif. Bientôt, les gens ont commencé à raconter à Shahzad comment ils avaient rencontré leurs femmes ou leurs maris. \"Une fois que j'ai entendu la première histoire à succès, j'ai eu l'impression que l'application faisait bien ce pourquoi elle avait été créé\", dit-il. Les musulmans de la RDC privés de visa pour La Mecque Ryan, un partenaire d'affaires, un créateur d'applications chevronné, bien qu'il n'ait encore que 25 ans, s'est joint à l'équipe en 2016. Ensemble, ils ont complètement redessiné Muzmatch, avec les commentaires de leurs premiers clients. Ils ont ajouté 22 autres questions de profil que les gens demandaient, comme le degré de religiosité d'une personne et la fréquence de ses prières - des choses qui comptent vraiment pour leurs utilisateurs. Muzmatch permet également aux utilisateurs de choisir de ne pas avoir une photo de profil, ou de la brouiller à la place. Les gens peuvent également cocher une case pour que les transcriptions de leurs discussions en ligne soient envoyées à l'un de leurs parents ou à un autre tuteur choisi. Shahzad dit que même si Ryan n'est pas un musulman, il \"comprend vraiment les objectif de l'application\".. L'entreprise a maintenant un deuxième bureau au Bangladesh, le pays qui compte la quatrième population musulmane en importance. Eden Blackman, fondateur du site de rencontre et de l'application Would Like to Meet, dit que Muzmatch a été à l'avant-garde des applications de rencontre plus spécialisées. \"Ces dernières années, les rencontres ethniques et religieuses sont passées d'une niche à une plateforme grand public, et ce que fait Muzmatch est en tête de peloton\", dit-il. \"Si la religion et les rencontres en ligne s'accordent parfaitement... ça devrait être sur un terrain sacré. D'après ce que j'ai vu et entendu à propos de Muzmatch, ils semblent avoir lié les deux\". Muzmatch, qui dispose également d'une petite équipe au Bangladesh, exploite un modèle d'entreprise \"freemium\". Il est gratuit pour utiliser son service de base, mais vous pouvez payer à partir de 12 $ par mois pour des fonctionnalités supplémentaires telles que la visualisation illimitée des profils, et avoir votre propre profil vu par plus de personnes. La société affirme que son chiffre d'affaires annuel est maintenant de plus de 4,5 millions de livres sterling. Alors que l'application continue de gagner en popularité, Shahzad dit que ses utilisateurs potentiels sont les quelque 400 millions de musulmans célibataires dans le monde. \"Nous avons maintenant eu des milliers de mariages et de bébés [grâce à Muzmatch]\", dit-il. \"En pensant à eux tous les jours, j'ai l'impression que tout ce dur labeur au début en valait la peine.\" 7 choses à savoir sur le Hajj"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47111387", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-51770178", "doc1": "ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার একটি ছোট শহরে ইংরেজি ভাষার বই পড়ছেন একজন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চীনের ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা প্রায় একশ' কোটি। আবার ৪৬ রকমের ভাষা আছে যা শুধুমাত্র একজনই ব্যবহার করে থাকেন। কোন ভাষাটি আমাদের কানে সবচেয়ে ভাল শোনাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা প্রায়শই ভাষাগুলোর মধ্যে তুলনা করে থাকি। কিন্তু কোনটি সর্বাধিক দক্ষ ভাষা সেটা নির্ধারণ করা হয় কীভাবে? সাধারণত দক্ষতা বলতে বোঝায় সবচেয়ে কম চেষ্টায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা অর্জন করা। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে গণিত এবং ভাষা শিক্ষার ভয়াবহ চিত্র ইংরেজি কি 'জনপ্রিয় ভাষা' হিসেবে টিকে থাকবে? আমার চোখে বিশ্ব: বাংলা নিয়ে 'গরব' নাই, আশাও নাই ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের তেলেগু ভাষা শেখানো হচ্ছে। গবেষকরা ভাষার দক্ষতা গণনার সময় বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। সবচেয়ে দ্রুত যে ভাষা অস্ট্রিয়ার ক্ল্যাগেনফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জারট্রড ফেনক-ওজলন জানিয়েছেন যে, কথা বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুততম ভাষাটি হল 'তেলেগু'। যে ভাষায় প্রধানত দক্ষিণ ভারতের আট কোটিরও বেশি মানুষ কথা বলে থাকে। একে ওই গবেষণায় দ্রুততম কথ্য ভাষা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই গবেষণায়, ফেনক-ওজলন ৫১টি ভাষার স্থানীয় ভাষাভাষীদের একত্রিত করেছিলেন যাদের মধ্যে ১৯টি ভাষার ভাষাভাষী ইন্দো-ইউরোপীয় এবং ৩২টি ভাষার অ-ইন্দো ইউরোপিয়ান। থাইল্যান্ডে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজ ভাষার পত্রিকা পড়ছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে তাদেরকে সহজ কিছু বাক্য অনুবাদ করার জন্য বলা হয়েছিল, যেমন: সূর্য ঝলমল করছে, আমি শিক্ষককে ধন্যবাদ দিয়েছি, ঝর্ণাটি ডান পাশে আছে, নানা/দাদা ঘুমচ্ছেন। এরপরে, অংশগ্রহণকারীদের তাদের অনুবাদগুলো একটি স্বাভাবিক গতিতে পড়তে বলা হয়। সেখানে দ্রুততম কথ্য ভাষা হিসেবে তেলেগু খুব অল্পের ব্যবধানে জাপানিজ ভাষাকে হারিয়ে দেয়। এছাড়া তালিকার সবচেয়ে শেষের প্রান্তে রয়েছে থাই ভাষা। তার আগে রয়েছে ভিয়েতনামিজ। তথ্যের ঘনত্ব যে কোনো ভাষার মূল কাজ হল যোগাযোগ। প্রতি মিনিটে আরও বেশি শব্দ ব্যবহার মানে এই নয় যে বেশি তথ্য পাওয়া যাবে। লিওন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিদরা বের করার চেষ্টা করেছেন যে, কোন ভাষাটি তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কতটা ভাল। এজন্য তারা যুক্তি সম্বলিত পাঁচটি বাক্য ইংরেজি, ফরাসি, স্পেনীয়, ইতালীয়, জাপানিজ, ম্যান্ডারিন, এবং জার্মানিতে অনুবাদ করেন। তারপর তারা ওই লেখাগুলো পড়তে ৫৯জন স্থানীয় ভাষাভাষীদের আমন্ত্রণ জানান। তারপর তারা প্রতিটি ধ্বনি থেকে পাও��়া গড় তথ্যের ঘনত্ব সেইসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে কথিত ধ্বনির গড় সংখ্যা গণনা করেন। পরে তারা এই উপসংহারে আসেন যে শুধু দ্রুতগতির ভাষা বেশি মাত্রায় তথ্য সরবরাহ করতে পারেনা। জাপানি ভাষাভাষীরা প্রতি সেকেন্ডে আটটি ধ্বনি বলতে পারে যেখানে চীন কেবল পাঁচটি ধ্বনি বলতে পারে। তবে ম্যান্ডারিন ভাষার তুলনায় জাপানিজ ভাষা, মাত্র অর্ধেক তথ্য সরবরাহ করতে পারে। জাপানি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তথ্য সরবরাহের হারের ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে এসেছে ইংরেজি ভাষা, এর পরেই রয়েছে ফরাসি এবং জার্মান ভাষা। লিওনের গবেষকরা তাদের তালিকায় আরও ১১টি ভাষা যুক্ত করে গবেষণাটি আরও বিস্তৃত করেন। এই ১৮টি ভাষা দশটি ভিন্ন ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। সেখানে দেখা যায় যে থাই ভাষার গতির দিকে সবচেয়ে নীচে অবস্থান করলেও তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এর অবস্থান জাপানেরও ওপরে। চূড়ান্ত কোন উত্তর কি মিলেছে? গবেষণা এখনও সবচেয়ে দক্ষ ভাষা খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু গাণিতিক মডেল ব্যবহার করেও কাজ করছেন। এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ল্যাবের অধ্যাপক টেড গিবসনের মতো কয়েকজন পণ্ডিত জানিয়েছেন যে বর্তমান গবেষণাটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোন উত্তরে পৌঁছাতে পারেনি। \"এটি বেশ কঠিন প্রশ্ন। কেননা আমরা শুধুমাত্র ভাষাগুলোর কাঠামো নয় বরং এর অর্থও ব্যবহার করছি। এটি বের করা সত্যিই কঠিন। কিছু লোক কয়েকটি পরীক্ষা করেছে কিন্তু তারপরও আমাদের সেই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই।\" বিবিসির ক্রাউড সায়েন্স প্রোগ্রামে বলেছেন অধ্যাপক টেড গিবসন। অদূর ভবিষ্যতে আমরা হয়তো জানতে পারবো যে কোনটি দক্ষ ভাষা। তবে তখন আরেকটি প্রশ্ন আসবে যে কোন ভাষায় উত্তর দেয়া সহজ, কোন ভাষা সবচেয়ে শক্তিশালী। জাতিসংঘের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯৩ হলেও বিশ্বে মোট ভাষার সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। বৈশ্বিক শক্তি আবুধাবি-ভিত্তিক গবেষক কাই চ্যান, যিনি ইনসেড ইনোভেশন এবং পলিসি ইনিশিয়েটিভের একজন বিশিষ্ট ফেলো, তিনি ভাষার শক্তি পরীক্ষা করেছেন। তিনি তার সেই গবেষণায় পাঁচটি সূচক ব্যবহার করেন: গবেষণা অনুযায়ী ইংরেজি ও ম্যান্ডারিন সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা। উপরোক্ত সূচকের উপর ভিত্তি করে তিনি এই উপসংহারে আসেন যে সব মিলিয়ে ইংরেজি সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা। তার পরেই রয়েছে ম্যান্ডারিন, ফরাসি, স্প্যানিশ এবং আরবি ভ���ষা। এমনকি চীনের বিশাল অর্থনৈতিক সাফল্যের কথা বিবেচনা করেও তিনি বলেছেন যে, ২০৫০ সালের মধ্যেও ইংরেজি ভাষাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা থাকবে। তবে স্প্যানিশ তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে এবং ফরাসি আর আরবি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখলে নেবে।", "doc2": "La façon dont nous parlons peut influencer notre façon de penser le monde Dans certaines langues aborigènes australiennes, il n'y a pas de mots pour \"gauche\", \"droite\", \"avant\" ou \"arrière\". Au lieu de cela, les locuteurs natifs de ces langues utilisent les mots \"nord\", \"sud\", \"est\" et \"ouest\", même dans des situations banales, par exemple pendant le dîner vous écouteriez : \"Veuillez passer le sel à l'est.\" Aussi compliqué que cela puisse paraître, le résultat est que ces personnes ont généralement un meilleur sens de l'orientation. Cela signifie-t-il que la \"réalité\" est différente selon la langue que vous parlez ? A lire aussi sur BBC Afrique: Donner un nom à une couleur Les enfants himba savent reconnaître certaines couleurs qui sont au cœur de leur culture Les langues sont notre façon \"d'organiser un monde autrement désordonné en catégories identifiables\", déclare Panos Athanasopoulous, professeur de linguistique à l'université de Lancaster au Royaume-Uni. \"Cela nous donne des étiquettes toutes faites\", explique-t-il. Sophie Scott, professeur de neuroscience cognitive à l'UCL à Londres, a déclaré à la BBC : \"la façon dont les différentes langues découpent le monde peut varier et cela influence effectivement la façon dont vous voyez ce monde\". Selon Sophie Scott, les gens peuvent donc mettre en avant différents attributs d'un pont lorsqu'ils le décrivent. Pour donner un exemple de la façon dont les langues peuvent affecter notre façon de penser, le professeur Athanasopoulous a parlé à la BBC d'une expérience consistant à nommer une couleur entre le bleu et le vert. \"Dans de nombreuses langues, il existe un terme pour désigner à la fois le vert et le bleu, que l'on appelle généralement \"grue\". On trouve ce terme dans des langues comme l'himba, par exemple, dans les plaines namibiennes\". \"Dans une expérience, nous avons demandé aux participants de regarder la tuile de couleur et après 30 secondes, nous leur avons montré toute la gamme des couleurs. Nous leur avons dit de choisir celle qu'ils venaient de voir. C'est une tâche très difficile si vous êtes anglophone, par exemple, mais le locuteur himba peut le faire comme un jeu d'enfant parce que cette couleur est centrale pour eux\". C'est pourquoi \"vous ne pouvez tout simplement pas reconnaître facilement les couleurs qui ne sont pas encodées dans votre langue maternelle\", conclut le professeur Athanasopoulous. Donner un sens au monde Les langues nous fournissent des labels pour organiser le monde, déclare le professeur Athanasopoulos L'idée selon laquelle les langues façonnent notre perception de la réalité a connu des hauts et des bas de popularité au fil des ans. L'un de ses partisans les plus influents a été le linguiste américain Benjamin Lee Whorf. En 1940, il a publié la conclusion de ses études sur une langue amérindienne appelée Hopi. Whorf a déclaré qu'en raison de leur langue, les locuteurs natifs du Hopi et de l'anglais avaient des manières différentes de saisir et d'exprimer des concepts comme le temps, ou, selon les mots du professeur Athanasopoulos, \"n'étaient pas des observateurs égaux du monde\". C'est ce qu'on appelle le principe de relativité linguistique. Mais la théorie de Whorf a été critiquée parce qu'elle impliquait que les locuteurs natifs d'une langue donnée ne seraient pas capables de comprendre des concepts qui n'existent pas dans cette langue. Certains ont fait valoir que, si cela était vrai, comment quelqu'un pourrait-il apprendre quelque chose de nouveau ? Les différentes théories... Les locuteurs de différentes langues pensent différemment selon la théorie du \"penser pour parler\". Mais il existe des moyens par lesquels les langues obligent les locuteurs à structurer et à verbaliser leurs idées, explique Christopher Hart, professeur de linguistique à l'université de Lancaster au Royaume-Uni. \"La structure d'une langue nous oblige à nous occuper de certains aspects de la réalité qui sont pertinents pour une langue au moment de son utilisation\", a déclaré le professeur Hart à la BBC. Cette idée est appelée hypothèse de la pensée pour la parole - ce qui signifie que les locuteurs de différentes langues pensent différemment, tout en étant en train de préparer mentalement le contenu pour la parole. Mettre de l'ordre dans vos pensées Les différentes langues nous obligent à considérer différentes choses avant de les dire Le Kuuk Thaayorre est une langue parlée dans la petite communauté aborigène de Pormpuraaw, dans le nord de l'Australie. Comme nous l'avons déjà mentionné, il n'y a pas de mots dans cette langue pour désigner la gauche ou la droite, ou la question commune : \"Où allez-vous ?\" Selon Boroditsky, cela peut être un problème pour les locuteurs non natifs. La réponse devrait être quelque chose comme \"sud-sud-est, à mi-distance\". Si vous ne savez pas de quel côté vous êtes, vous ne pouvez même pas dépasser le \"bonjour\"\", écrit Boroditsky. N'importe qui peut s'entraîner à être aussi orienté dans l'espace que le Kuuk Thaayorre, bien sûr. Mais leur langage les oblige à être plus attentifs à cet aspect particulier de la réalité. Boroditsky a découvert que cette caractéristique a également des implications sur la façon dont les Kuuk Thaayorre pensent au temps. Son équipe leur a donné des images montrant une progression temporelle - par exemple un homme qui vieillit ou une banane que l'on mange - et leur a ensuite demandé de les classer par ordre chronologique. Les anglophones les classaient de gauche à droite, et les hébreux de droite à gauche - en suivant l'écriture dans leur propre langue, dans les deux cas. Mais le Kuuk Thaayorre, dit-elle, les arrange d'est en ouest. Dans l'expérience, cela s'est avéré même lorsqu'on ne leur a pas dit dans quelle direction ils étaient orientés. Comme la langue les a obligés à s'entraîner, dit-elle, ils peuvent accomplir des prouesses de navigation que la plupart des autres humains trouveraient impossibles à réaliser. Visualiser le temps Les langues sont profondément liées à la façon dont nous percevons le monde La prochaine fois que vous parlerez à quelqu'un qui est né et qui vit dans une langue différente de la vôtre, souvenez-vous que les perceptions peuvent être légèrement différentes, même lorsqu'il s'agit de choses que nous considérons comme universelles - comme le passage du temps. En fait, les anglophones ont tendance à considérer le temps comme quelque chose qui est \"devant\" nous et que nous mettons \"derrière\" - alors que le temps en mandarin peut être devant, derrière, au-dessus ou en dessous. Bien que de nombreuses langues diffèrent, le professeur Athanasopoulos estime que cela ne devrait pas nous empêcher de parler à des personnes d'origines différentes. \"Il y a en fait une très, très bonne raison d'apprendre une langue... pour avoir une autre perspective sur le monde\", dit-il. Le professeur rappelle également que ce sont en fait nos différences qui nous unissent : \"La diversité est au cœur de la nature humaine\" et \"la diversité est probablement le seul vrai universel de l'humanité\"."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47759128", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47747486", "doc1": "আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটে আরো দুটো যমজ শিশু রয়ে গেছে। ওই নারীর চিকিৎসকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গর্ভকাল পূরণ করার আগেই প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়সী আরিফা সুলতানা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রথম শিশুটির জন্ম দেন। এর ২৬ দিন পর আবারও তার পেটে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখতে পান যে তিনি আসলে তখনও অন্তঃসত্ত্বা। তার দ্বিতীয় একটি জরায়ুতে আরো দুটো যমজ শিশু বেড়ে উঠছে। তখনই দেরি না করে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই দুটো শিশুরও প্রসব ঘটানো হয়। জন্মের পর যমজ শিশু দুটো স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং কোন জটিলতা না থাকায় চারদিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আরিফা সুলতানা তার তিনটি নবজাতককে নিয়েই বাড়িতে ফিরে যান। আমরা বিস্মিত হয়েছি আরিফা সুলতানার প্রথম শিশুর জন্ম হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর ঠিক ২৬ দিন পর তিনি আবার বলতে থাকেন যে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। পরে ২১শে মার্চ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোরের আদ-দীন হাসপাতালে। গাইনোকলিজস্ট ড. শীলা পোদ্দার তখন অপারেশন করে যমজ ওই দুটো শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শীলা পোদ্দার বিবিসিকে বলেন, \"রোগীকে যখন নিয়ে আসা হলো তখন আমরা আলট্রাসাউন্ড করে দেখতে পাই যা তার পেটে যমজ শিশু রয়েছে।\" \"এতে আমরা খুব বিস্মিত হয়ে যাই। আমার জীবনে আমি এরকম ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি।\" তবে দ্বিতীয়বার কেন তিনি ভিন্ন একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, এবং কেন প্রথম সন্তান জন্মের সময়ই তার পেটে আরো বাচ্চা থাকার ব্যাপারটা বোঝা যায় নি - সেটি খুব একটা পরিষ্কার নয়। চিকিৎসক বলছেন, মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে আরো পড়তে পারেন: গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে আগুন নিয়ন্ত্রণে মৃত মস্তিষ্ক নিয়েও সন্তান জন্ম দিলেন এক নারী ব্রেক্সিট: আর কী বিকল্প হাতে আছে ব্রিটেনের? ড. পোদ্দার বলেনে, মিজ সুলতানা এবং তার স্বামী \"খুবই গরিব মানুষ এবং ওই নারীর এর আগে কখনো আলট্রাসাউন্ড করা হয়নি।\" \"আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটের ভেতরে আরো দুটো বাচ্চা আছে। তাদের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে।\" \"বাচ্চারা এবং তাদের মা ভাল আছে। আমি খুব খুশি যে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয়েছে,\" বলেন ড. শীলা পোদ্দার। সিঙ্গাপুরের একজন গাইনোকলজিস্ট বলেছেন, দুটো জরায়ু থাকা খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। \"মানুষ যেরকম মনে করে আসলে তা নয়।\" \"আপনি যদি আগে কোন স্ক্যান করান তাহলেই দেখতে পাবেন যে পেটের ভেতরে দুটো জরায়ু আছে। কিন্তু যেহেতু তারা একেবারেই গ্রামের মানুষ তাই হয়তো তাদের কখনো আলট্রাসাউন্ডই করা হয়নি।\" বলেন ড. ক্রিস্টোফার এনজি। \"মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে,\" বলেন তিনি। মিজ সুলতানা বলেছেন, তিন বাচ্চা নিয়ে তিনি খুব খুশি। তার একটাই দুশ্চিন্তা এদেরকে তিনি বড় করবেন কীভাবে! বার্তা সংস্থাকে এএফপিকে তিনি বলেছেন, তার স্বামী একজন দিনমজুর এবং তিনি মাসে ৬,০০০ টাকার মতো রোজগার করেন। তার স্বামী বলেছেন, বাচ্চাদেরকে লালন পালন করার খরচ যোগাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন। তিনি বলেন, \"এটা আল্লাহরই এক অলৌকিক ঘটনা যে আমার সব বাচ্চারাই ভাল আছে। তাদেরকে খুশি রাখার জন্যে আমি যা করা দরকার সেটা আমি করবো,\" বলেন তিনি।", "doc2": "Mme Sultana ignorait qu'elle était enceinte de jumeaux. La jeune femme de 20 ans avait deux utérus et des enfants dans chacun d'eux. Cela lui a permit de garder ses jumeaux, alors qu'un mois plutôt elle avait déjà accouché une première fois. Lire aussi : 'Je ne peux pas accoucher dans mon village' Elle se rend à son accouchement à vélo Une histoire invraisemblable Un agent de santé bénévole surveillant une femme enceinte au Bangladesh. Arifa Sultana, 20 ans, originaire d'un village rural, a donné naissance à son premier enfant fin février. Mais 26 jours plus tard, le 21 mars, elle a été transportée d'urgence dans un hôpital du district de Jessore après s'être plainte de douleurs à l'estomac. Les médecins ont alors découvert qu'elle était toujours enceinte et portait des enfants dans un deuxième utérus; ils ont alors pratiqué une césarienne d'urgence. \"Quand la patiente est arrivée, nous lui avons fait une échographie et constaté qu'il y avait des jumeaux \", a expliqué Sheila Poddar, la médecin-gynécologue qui a effectué la césarienne. \"Nous avons été très choqués et surpris. Je n'ai jamais observé quelque chose comme ça avant\", a-t-elle ajouté. Lire aussi: Une Somalienne accouche dans un avion Une Kenyane maltraitée lors de son accouchement indemnisée Selon le Dr Poddar, Mme Sultana et son mari sont \"très pauvres\" et elle n'avait \"jamais fait d'échographie auparavant\", dans la période précédant son premier accouchement. Ses jumeaux ont été jugés en bonne santé et la maman ainsi que les nourrissons ont pu quitter l'hôpital sans complications. Selon un gynécologue de Singapour l'utérus didelphys - le fait d'avoir deux utérus - n'est \"pas aussi rare qu'on le pense\". \"[Il est probable que] trois ovules ont été fécondés en même temps pendant sa période fertile, ce qui a donné trois embryons\", a déclaré le Dr Christopher Ng de la GynaeMD Clinic à la BBC. A regarder : Sage-femme et héroïne des cœurs"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48292927", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-48284372", "doc1": "নাইজেরিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শারিয়া আইনও আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের যে কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথা। উত্তর নাইজেরিয়ার যেসব রাজ্যে ২০০০ সালের পর থেকে শরিয়া আইন কার্যকর করা হয়, কানো তার মধ্যে একটি। নাইজেরিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শরিয়া আইনও আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। কানো রাজ্যের হিসবাহ মুখপাত্র আদামু ইয়াহইয়া বিবিসিকে জানান, আটককৃত ব্যক্তিদের সকলেই মুসলিম ছিলেন। অমুসলিমদের যেহেতু ইসলামের নিয়ম-কানুন মানতে হয় না, তাই এই ধরণের অভিযানে কর্তৃপক্ষ অমুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে না বলেও জানান মি. ইয়াহইয়া। তিনি বলেন, আটককৃতদের কয়েকজন জানিয়েছেন যে তারা রমজানের চাঁদ নিজে না দেখায় রোজা পালন করেন না আর অন্যান্যরা অসুস্থতাকে রোজা না রাখার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের সবার যুক্তিকেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। \"প্রথমবার আইন ভাঙায়\" আটককৃত ৮০ জনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান মি. ইয়াহইয়া। তাদেরকে সাবধান করে দেওয়া হয় যে, এরপর যদি তারা ধরা পড়ে তাহলে তাদের আদালতেও পাঠানো হতে পারে। যেসব মুসলিমরা রোজা রাখেন না, তাদের বিরুদ্ধে পুরো রমজান মাসই এধরণের অভিযান চলবে বলে হিসবাহ'র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: সাইবার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি শিশুদের সুরক্ষায় চাইল্ড রাইটস কমিশন গঠনের দাবি যে পাঁচটি বিষয় নিয়ে পুরুষরা কথা বলে না", "doc2": "L'État de Kano est l'un des nombreux États du nord du Nigeria où la charia a été réintroduite depuis 2000. La police islamique, connue sous le nom de Hisbah, affirme que les personnes ont été arrêtées à différents moments dans la ville de Kano au cours des deux derniers jours. L'État de Kano est l'un des nombreux États du nord du Nigeria où la charia a été réintroduite depuis 2000. La charia a été partiellement instaurée en parallèle à la loi laïque du pays. Lire aussi : Ramadan : que se passe-t-il dans votre corps quand vous jeûnez ? Ramadan : certains jeûnent plus longtemps que d'autres Le porte-parole de la Hisbah dans l'État de Kano, Adamu Yahaya, a déclaré à la BBC que toutes les personnes arrêtées étaient musulmanes et que les officiers ne ciblent pas les non-musulmans parce qu'ils ne sont pas liés par la loi islamique. Il raconte que certaines des personnes arrêtées ont expliqué au bureau de la police islamique qu'elles mangeaient parce qu'elles n'avaient pas vu le croissant de lune du ramadan alors que d'autres feignaient la maladie. Les 80 personnes arrêtées ont été réprimandées et relâchées parce qu'il s'agissait de \"délinquants primaires\", selon Adamu Yahaya. Lire aussi : Tunisie: un mois de prison pour une cigarette La CAN 2019 se met au calendrier du Ramadan Elles ont été averties que si elles étaient arrêtées de nouveau, elles seraient traduites en justice. La police islamique a confirmé qu'elle continuera ses patrouilles tout au long du ramadan. Le jeûne du Ramadan, l'un des cinq piliers de l'Islam, est obligatoire pour tous les musulmans adultes, mais certaines catégories de personnes - comme celles qui sont gravement malades - ne sont pas tenues de jeûner. A écouter : \"Pendant le jeune il faut bien s'hydrater le matin\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53963425", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-53960349", "doc1": "তুলনামূলক কম বয়সে মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার কেন বাড়ছে, ঠিক কী কী কারণে কোলন বা কোলোরেকটাল ক্যান্সার হয়ে থাকে - এই ধরণের বিষয়গুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং আলোচনা করছেন অনেকে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স কমছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তত্বাবধান বিভাগের প্রধান এবং গবেষণা নিবন্ধটির একজন লেখক রেবেকা সিগেল সিএনএন'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, \"বিজ্ঞানীরা জানতেন যে তরুণদের মধ্যে কোলোরেকটাল ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কিন্তু এত দ্রুতগতিতে এটি হচ্ছে, সেটা জানতে পেরে আমরা বিস্মিত হয়েছি।\" মিজ. সিগেল বলেন, \"এই রিপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি যে শুধু বর্তমানের ক্যান্সার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তাই নয়, ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও আমাদের ধারণা দেয়।\" তিনি মন্তব্য করেন প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়তে থাকলে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ও যৌন ক্ষম���া অক্ষুণ্ণ রাখা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা নতুন ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। পাশাপাশি তরুণরা আক্রান্ত হলে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়, যেই ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর বিষয়েও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে চিকিৎসকদের। আরো পড়তে পারেন: 'ক্যান্সারের জন্ম' বিষয়ে তথ্য খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন উপায় 'ভার্চুয়াল টিউমার' ক্যান্সারে কেমোথেরাপি কতটা কাজে লাগে? তুলনামূলক কম বয়সে মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের কারণ যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএস'এর তথ্য অনুযায়ী কোলন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায় না, তবে কিছু কিছু বিষয় এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সেগুলো হল: বয়স - কোলন ক্যান্সারে ভুগতে থাকা প্রতি ১০ জনের ৯ জনের বয়সই ৬০ বা তার চেয়ে বেশি। খাদ্যাভ্যাস - অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের স্বল্পতা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। ওজন - অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে, তাদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ব্যায়াম - যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করা হলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। মদ্যপান ও ধূমপান - মদ্যপান ও ধূমপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস - পরিবারের কোনো সদস্যের (বাবা, মা বা ভাই, বোন) যদি ৫০ এর কম বয়সে কোলন ক্যান্সার হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তিরও ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া মলত্যাগের জন্য হাই কমোড ব্যবহার করা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে উঠে আসে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায়। গবেষণাটি ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তেহরানের ১০০ জন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কোলন ক্যান্সারের উপসর্গ এনএইচএস'এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী কোলন ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ তিনটি। সেগুলো হল: মলের সাথে নিয়মিত রক্ত নির্গত হওয়া - মলের সাথে রক্ত নির্গত হয় সাধারণত পাকস্থলীর কার্যক্রমে পরিবর্তন হলে। পাকস্থলীর কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন - এরকম সময়ে রোগী সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মলত্যাগ ���রে এবং মল অপেক্ষাকৃত তরল হয়ে থাকে। তলপেটে ক্রমাগত ব্যাথা, পেট ফোলা বা অস্বস্তি বোধ করা - এই উপসর্গের সাথে সাধারণত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, খাওয়ার রুচি হারানো বা ওজন হারানোর সংশ্লিষ্টতা থাকে। এছাড়া ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগ করার পরও বারবার মলত্যাগের ইচ্ছা হওয়া বা রক্তে আয়রনের স্বল্পতার মত উপসর্গও দেখা যায় কোলন ক্যান্সারে। অনেক সময় স্যালাইনের মতো কেমোথেরাপি দেয়া হয়। বাংলাদেশে কোলন ক্যান্সারের চিত্র কী? বাংলাদেশে কী পরিমাণ মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, সেসম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৯.২ ভাগ পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, \"বাংলাদেশে ক্যান্সার পরিস্থিতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ বা কোন ধরণের ক্যান্সারে মানুষ বেশি ভুগে, এই বিষয়ে সাম্প্রতিক তথ্য না থাকলেও কমবয়সীদের মধ্যে আজকাল কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার কিছুটা বেশি বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে আমরা ধারণা করছি।।\" আর মলত্যাগে হাই কমোডের ব্যবহার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মি. তালুকদার বলেন, \"এই বিষয়ে এখনো সেভাবে কোনো গবেষণা না থাকলেও মলত্যাগের পদ্ধতির সাথে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।\" মি. তালুকদার বলেন, \"আমাদের ধারণা, হাই কমোডে বসে মলত্যাগ করলে মলাশয় পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। প্রয়োজনীয় চাপ না পড়ায় মলদ্বারে কিছুটা মল থেকে যায়। আর মলে অসংখ্য জীবাণু থাকে, আর সেই জীবাণু সেখানে থেকে যাওয়ায় কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।\"", "doc2": "Boseman, vu ici en 2018 dans son ancienne université Il est décédé chez lui à Los Angeles, avec sa femme et sa famille à ses côtés, selon un communiqué publié sur les médias sociaux. Boseman a été diagnostiqué avec un cancer du côlon il y a quatre ans, mais n'avait pas rendu l'information publique. Cette nouvelle a laissé les fans et le monde du cinéma stupéfaits. Le réalisateur de Get Out, Jordan Peele, a déclaré que c'était \"un coup dur\". A lire aussi \"Black Panther\" bat tous les records \"Black Panther\", un film très africain \"Black Panther\" dépasse 500 millions de dollars \"Un vrai combattant, Chadwick a persévéré et vous a apporté beaucoup de films que vous aimez tant\", a déclaré sa famille. \"De Marshall à Da 5 Bloods, Ma Rainey's Black Bottom d'August Wilson et plusieurs autres - tous ont été réalisés pendant et entre d'innombrables opérations chirurgicales et chimiothérapies. Ce fut l'honneur de sa carrière de donner vie au roi T'Challa dans Black Panther\". Boseman s'est fait connaître en jouant des personnages réels - le grand joueur de baseball Jackie Robinson en 2013 dans la série 42, et le chanteur de soul James Brown en 2014 dans la série Get on Up. Cependant, c'est en tant que personnage de Black Panther dans le film à succès de 2018 qu'il restera le plus longtemps dans les mémoires. Boseman incarne le dirigeant du Wakanda, une nation africaine fictive dotée de la technologie la plus avancée au monde. En plus d'avoir été salué par la critique et d'avoir rapporté plus de 1,3 milliard de dollars US dans les salles de cinéma du monde entier, le film a été largement considéré comme une étape culturelle importante en raison de la présence d'une distribution majoritairement noire et d'un réalisateur noir, Ryan Coogler. Boseman a déclaré l'année dernière que le film avait changé ce que signifie être \"jeune, doué et noir\". Boseman n'avait pas parlé publiquement de sa maladie Black Panther a été le premier film de super-héros à être nominé pour le meilleur film aux Oscars. Il a également joué le même rôle dans d'autres films de Marvel, Captain America : Civil War, Avengers : Infinity War et Avengers : Endgame. Une suite était en préparation et devait sortir en 2022, avec le retour de Boseman. La nouvelle de sa mort a choqué beaucoup de gens, car Boseman n'a jamais évoqué publiquement sa maladie. Cependant, les fans ont commencé à s'inquiéter de sa santé cette année en raison d'une perte de poids notable."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55348494", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-55348034", "doc1": "ভারতে ''লাভ জিহাদ'' আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে এ মাসের গোড়ায় একটি ভিডিও ভারতের সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মোরাদাবাদ শহরে একদল পুরুষ একজন নারীকে হেনস্তা করছে। ঐ পুরুষদের গলায় জড়ানো কমলা রঙয়ের উত্তরীয়। \"তোমার মত লোকেদের জন্যই বাধ্য হয়ে আইন আনতে হয়েছে,'' একজন পুরুষ এই বলে তাকে তিরস্কার করছে। এই হেনস্তাকরীরা বজরং দলের লোক। কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির সমর্থক। যে আইনের কথা তারা বলছে, সেটা হল উত্তর প্রদেশ রাজ্যে সম্প্রতি চালু হওয়া অবৈধভাবে ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করে প্রণীত অধ্যাদেশ। এই আইন করা হয়েছে মূলত ''লাভ জিহাদ''কে লক্ষ্য করে। এই লাভ জিহাদ কথাটি মুসলিম বিরোধী কট্টর হিন্দু সংগঠনের তৈরি। তারা এই লাভ-জিহাদ তত্ত্ব ছড়িয়ে বলছে মুসলিম পুরুষরা হিন্দু নারীদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে প্রেমের ছল দেখিয়ে তাদের বিয়ে করে। আরও পড়তে পারেন: ভিডিওতে তোলা এই ঘটনা ঘটেছে ৫ই ডিসেম্বর। এতে দেখা যায় বজরং দলের সক্রিয় কর্মীরা ২২ বছরের এই নারীকে হেনস্তার পর তাকে এবং তার সাথে তার স্বামী ও স্বামীর ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ এর পর ওই নারীকে পাঠিয়ে দেয় সরকারের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে এবং তার স্বামী ও স্বামীর ভাইকে গ্রেফতার করে। ওই নারী সাত সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। ঘটনার কয়েকদিন পর, ওই নারী অভিযোগ করেন, হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার গর্ভপাত হয়েছে। এ সপ্তাহের গোড়ায়, আদালত ওই নারীকে তার ���্বামীর বাসায় ফিরে যাবার অনুমতি দেয়। তিনি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং তিনি নিজের ইচ্ছায় ওই মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করেছেন। তবে তার স্বামী এবং স্বামীর ভাই এখনও জেলে রয়েছেন। সোমবার ছাড়া পাবার পর ওই নারী সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মচারীরা তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে এবং তার পেটে ব্যথা হচ্ছে একথা বলার পরেও প্রথমদিকে সে কথা তারা কানেই নেয়নি। আশ্রয়কেন্দ্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২২ বছরের নারী পেটে ব্যথার অভিযোগ করলে তাকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ''আমার অবস্থার যখন খারাপ হয়, ওরা আমাকে একটা হাসপাতালে নিয়ে যায় (১১ই ডিসেম্বরে)। সেখানে রক্ত পরীক্ষার পর, ওরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ও আমাকে ইনজেকশান দেয়। এরপর আমার রক্তপাত শুরু হয়ে যায়।\" তিনি বলেন, এর দুদিন পর, তাকে আরও ইনজেকশান দেয়া হয়। তার রক্তপাত আরও বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায় বলে তিনি জানান। তিনি যা বলছেন তা সঠিক কিনা এবং হাসপাতালে ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার সকালে যে সময় তিনি ওই আটককেন্দ্রে ছিলেন, তখন তার গর্ভপাতের খবর আশ্রয়কেন্দ্রর কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দেন। তার গর্ভপাতের খবরের ভিত্তি ছিল সেসময় তার শাশুড়ির দেয়া একটি সাক্ষাৎকার। শিশু সুরক্ষা কমিশনের সভাপতি ভিশেশ গুপ্তা গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাবার সব খবর অস্বীকার করেছেন, এমনকি তিনি জোর দিয়ে এও বলেছেন যে \"গর্ভের শিশুটি নিরাপদ আছে''। যে হাসপাতালে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানকার একজন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আলট্রাসাউন্ডে তারা সাত সপ্তাহের ভ্রূণটি দেখতে পেয়েছেন\"। তবে ওই চিকিৎসক বলেছেন, একমাত্র ''যোনিপথ দিয়ে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করলে তবেই নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে, ভ্রূণ নিরাপদ আছে কিনা\"। তবে ওই নারী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ছাড়া পাবার পর যেসব অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও কোন মন্তব্য করেনি। তারা হাসপাতালে ওই নারীর আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার ফল তার হাতে দেয়নি অথবা হাসপাতালে তাকে ইনজেকশানের মাধ্যমে কী ওষুধ দেয়া হয়েছিল সে বিষয়েও কোন বিস্তারিত তথ্য তাকে দেয়নি। কাজেই, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পাঁচদিন পরেও তার গর্ভের ভ্রূ��� সম্পর্কে স্বচ্ছ কোন তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলে ভ্রূণের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তবে ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে এমন খবরে ভারতে আবার ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছে। ভারতে, ভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক পরিবার ও সমাজে বাঁকা চোখে দেখার সংস্কৃতি রয়েছে। অনেক পরিবারকে দেখা যায় প্রায়শই এধরনের বিয়ে সমর্থন করেন না। তবে কেউ ধর্মান্তরিত হতে চাইলে সে ব্যাপারে জেলা কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাইতে হবে বলে নতুন আইন প্রণয়ন করায় ব্যক্তি বিশেষের প্রেম ভালবাসার ও জীবনসঙ্গী বেছে নেয়ার নাগরিক অধিকারে রাজ্যের হস্তক্ষেপ করার এখন প্রত্যক্ষ একটা ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। এবং নতুন আইনে এই অপরাধ জামিনযোগ্য নয়। উত্তর প্রদেশের পর অন্তত আরও চারটি বিজেপি শাসিত রাজ্য কথিত \"লাভ জিহাদের'' বিরুদ্ধে একই ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য খসড়া তৈরি করছে। সমালোচকরা এই আইনকে প্রতিক্রিয়াশীল এবং আক্রমণাত্মক বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন এই আইন তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করার একটা অস্ত্র হিসাবে- মূলত মুসলিম পুরুষ ও হিন্দু নারীদের মধ্যে বিয়েকে লক্ষ্য করে। এই আইন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। পয়লা ডিসেম্বর ২০২০ ভারতের ব্যাঙ্গালোরে নারী আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ। এই বিতর্কিত আইন ২৯শে নভেম্বর পাশ হবার পর এই অল্প সময়ের মধ্যে অন্তত ছয়টি ঘটনার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যেখানে বিয়েতে বর ও কনে দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক ও বিয়েতে তাদের দুজনেই মত দিয়েছেন এবং এমনকি পরিবারেরও কোন অমত ছিল না এসব বিয়ের ক্ষেত্রেও। এবং এর সবগুলো ঘটনায় মুসলিম পাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে ঘটনা নিয়ে এখন সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় চলছে, সেই ঘটনায় জড়িত ২২ বছরের হিন্দু নারী বলছেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার মুসলিম স্বামীকে বিয়ে করেছেন জুলাই মাসে, প্রতিবেশি উত্তরাখন্ড রাজ্যের দেরাদুন শহরে। তারা যখন মোরাদাবাদে ফেরত আসেন, তখন তাদের ধরা হয় এবং তাদের বিবাহ নথিভুক্ত করার জন্য চাপ দেয়া হয়। ''এ ধরনের একটা আইনের সমস্যা হল যে, এতে দুই ধর্মের মধ্যে প্রেম বা বিয়ে হলে সেটাকে অপরাধী কার্যকলাপের পর্যায়ে ফেলা হচ্ছে,\" বলছেন ঐতিহাসিক চারু গুপ্তা। \"মেয়েদের নিজেদের ইচ্ছা বলে যে একটা জিনিস থাকতে পারে, এই আইন তাকে কোন সম্মান দেয় না। একজন নারী কাকে বিয়ে করবে সেই সিদ্ধান্ত নেবার বা সে পছন্দর অধিকার কি তার নেই? আর তার জন্য তাকে যদি আরেকটা ধর্ম গ্রহণ করতে হয়, সে চাইলে তাতে সমস্যা কোথায়? তিনি বলছেন, \"এই আইনের পরিধি এতটাই বিস্তৃত করা হয়েছে এবং এর ক্ষমতা এতটা ব্যাপক করা হয়েছে যে, এর অধীনে কাউকে অভিযুক্ত করা হলে সে যে নির্দোষ সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। আর সেটা খুবই বিপদজনক।''", "doc2": "Il y a eu des protestations contre la loi sur le \"love jihad\". Au début de ce mois, un clip vidéo a fait parler de lui en Inde. Il montrait un groupe d'hommes, avec des foulards orange autour du cou, chahutant une femme dans la ville de Moradabad, dans l'État de l'Uttar Pradesh, au nord du pays. \"C'est à cause de gens comme vous que cette loi a dû être promulguée\", gronde l'un des hommes. A ne pas manquer sur BBC Afrique : Les chahuteurs étaient du Bajrang Dal, un groupe hindouiste extrémiste qui soutient le parti Bharatiya Janata (BJP) du Premier ministre Narendra Modi. La loi dont ils parlent est l'Ordonnance sur l'interdiction de conversion religieuse illégale que l'Etat a récemment adoptée pour cibler le \"jihad d'amour\" - un terme islamophobe utilisé par les groupes hindous radicaux pour impliquer que les hommes musulmans s'attaquent aux femmes hindoues pour les convertir à l'Islam par le mariage. L'incident dans la vidéo a eu lieu le 5 décembre. Les militants de Bajrang Dal ont remis la femme de 22 ans, son mari et son frère à la police, qui l'a ensuite envoyée dans un refuge gouvernemental et a arrêté les hommes. Quelques jours plus tard, la femme, qui était enceinte de sept semaines, a déclaré avoir fait une fausse couche pendant sa garde à vue. Au début de la semaine, un tribunal l'a autorisée à retourner au domicile de son mari après qu'elle ait déclaré au magistrat qu'elle était adulte et qu'elle avait épousé l'homme musulman par choix. Son mari et son beau-frère sont toujours en prison. Dans des interviews aux médias depuis sa libération lundi soir, elle a accusé le personnel du centre d'accueil de la maltraiter et a déclaré que ses plaintes initiales de douleurs à l'estomac avaient été ignorées. Le centre d'accueil a nié ces allégations. La femme de 22 ans a été emmenée à l'hôpital après s'être plainte de douleurs à l'abdomen \"Quand mon état s'est détérioré, ils m'ont emmené à l'hôpital [le 11 décembre]. Après une analyse de sang, j'ai été admis et ils m'ont fait des injections, après quoi j'ai commencé à saigner\". Deux jours plus tard, dit-elle, on lui a fait d'autres injections. Les saignements ont augmenté et sa santé s'est détériorée, ce qui a entraîné la perte de son bébé, dit-elle. On ne sait toujours pas si c'est vrai et ce qui s'est passé exactement à l'hôpital. Lundi matin, alors qu'elle était encore en détention, les autorités ont rejeté les allégations selon lesquelles elle aurait fait une fausse couche. Ces informations étaient basées sur des entretiens avec sa belle-mère. Le président de la Commission de protection de l'enfance, Vishesh Gupta, a nié tous les témoignages concernant la fausse couche et est allé jusqu'à insister sur le fait que \"le bébé est en sécurité\". Un gynécologue de l'hôpital où elle a été soignée a déclaré aux journalistes que \"le fœtus de sept semaines pouvait être vu à l'échographie\". Cependant, le médecin a ajouté que seul \"un test trans-vaginal pouvait confirmer si le bébé était en sécurité ou non\". Mais les autorités n'ont pas encore commenté les allégations qu'elle a faites depuis sa libération. Elles ne lui ont pas non plus communiqué les résultats de ses examens échographiques ni les détails des médicaments qui lui ont été injectés. Ainsi, cinq jours après son arriv��e à l'hôpital, le statut du bébé n'est toujours pas clair, ce qui suscite des questions et des doutes. Mais les informations selon lesquelles la jeune femme aurait fait une fausse couche ont suscité l'indignation en Inde, et beaucoup se sont tournés vers les médias sociaux pour accuser les autorités. En Inde, les mariages interconfessionnels sont depuis longtemps censurés, les familles s'opposant souvent à ces unions. Mais la nouvelle loi, qui stipule que toute personne souhaitant se convertir doit demander l'approbation des autorités du district, donne à l'État un pouvoir direct sur le droit des citoyens d'aimer et de choisir un conjoint. Elle prévoit une peine d'emprisonnement pouvant aller jusqu'à 10 ans et les délits qui en découlent ne sont pas passibles de caution. Au moins quatre autres États gouvernés par le BJP élaborent des lois similaires contre le \"jihad de l'amour\". Les critiques ont qualifié cette loi de régressive et d'offensante et ont déclaré qu'elle serait utilisée comme un outil pour cibler les couples interconfessionnels, en particulier les liaisons entre les femmes hindoues et les hommes musulmans. Une pétition a également été déposée devant la Cour suprême, demandant qu'elle soit abandonnée. Une marche contre le \"love jihad\" dans la ville occidentale d'Ahmedabad en 2018 Depuis son adoption le 29 novembre, au moins une demi-douzaine de cas ont été signalés dans le cadre de cette loi controversée. Les mariages de couples interconfessionnels, entre adultes consentants et même ceux impliquant l'approbation des parents, ont été interrompus et des mariés musulmans ont été arrêtés. La femme de 22 ans dit s'être convertie à l'islam et avoir épousé son mari musulman en juillet à Dehradun, une ville de l'État voisin d'Uttarakhand. Ils ont été interceptés lorsqu'ils sont venus à Moradabad pour enregistrer leur mariage. \"Le plus grand problème avec une loi comme celle-ci est qu'elle traite l'amour interconfessionnel comme une activité criminelle\", explique l'historienne Charu Gupta. \"Elle refuse également de croire qu'une femme a un pouvoir, elle ne tient pas compte de son libre arbitre. N'est-ce pas à la femme de choisir qui elle veut épouser ? Et même si elle veut se convertir à une autre religion, quel est le problème ? \"Cette loi, dit-elle, est si vaste dans sa portée et son champ d'application, et elle impose à ceux qui en sont accusés de prouver leur innocence. Et c'est très dangereux\". Des inondations historiques ont fait plus de 300 morts au sud de l'Inde ce vendredi."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55301521", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-55302324", "doc1": "আডামা তার গ্রামে ফিরে গেছেন। তিনি বলছেন, ''জীবন তার জন্যখুবই কঠিন''। আডামার বাবা মা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন তার জীবন অনেক সহজ ছিল, তিনি বলছেন। তাদের পরিবার স্বচ্ছল ছিল না, চাইলেও সবকিছু করার সামর্থ্য ছিল না, কিন্তু তারপরেও জীবনে একটা শৃঙ্খলা ছিল। তিনি স্কুলে গেছেন, স্কুলজীবন আনন্দে কেটেছে। কোন কিছু নিয়ে তাকে চিন্তা করতে হতো না। বাবা মারা গেলেন তার ১২ বছর বয়সে। কয়েক বছর পরে মাও মারা গেলেন। ''জীবন খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াল,'' কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এক গ্রামে বসে কথা হচ্ছিল আডামার সাথে। ''আমাকে স্কুল ছেড়ে দিতে হল জীবিকার তাগিদে।'' আডামার যখন ২২ বছর বয়স এক পুরুষের সাথে তার পরিচয় হয়, আডামা অন্ত:স্বত্তা হন। কিন্তু তাদের কন্যা সন্তান জন্মানোর তিনদিন পর সন্তানের বাবাও মারা যান। তার একাকীত্বের যন্ত্রণা গভীর হয়। বাচ্চাটা ১৮ মাস বয়স হওয়া পর্যন্ত নানা অসুখে ভুগত। এরপর মেয়ের অবস্থা স্থিতিশীল হবার পর তাদের দুজনের বেঁচে থাকার জন্য আয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। আডামা বাচ্চাকে তার বৃদ্ধা নানীর কাছে রেখে নাইরোবি গ��লেন কাজের খোঁজে। ''মনে রেখো, বাচ্চাটার জন্যই তুমি কাজের খোঁজে ছুটে যাচ্ছ,'' নানী বলেছিলেন। আডামা নাইরোবি পৌঁছে প্রথমে রাস্তায় তরমুজ বিক্রির কাজ নেয়। এতে আয় হত খুবই সামান্য। যার সাথে ভাগাভাগির বন্দোবস্তে সে বাসা ভাড়া নিয়েছিল, আডামা বাসায় না থাকলে ঘরে রাখা তার আয়ের অর্থ সেই মেয়েটি চুরি করে নিত। শহরের জীবন খুবই কঠিন ছিল। তার কপালে একটা ক্ষত ছিল। আডামা বলছিলেন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন, \"কিছু পুরুষ আমার সাথে অসদাচরণ করার চেষ্টা করেছিল, নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলাম।\" আডামা এরপর নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যান, কিন্তু সেখানে কোন বেতনই পেতেন না। এরপর একটি নাইটক্লাবে তার কাজ জোটে। প্রথমে তিনি তার বসকে বলেছিলেন তার বেতনের পুরো অর্থ সরাসরি গ্রামে তার নানীর কাছে পাঠিয়ে দিতে। পরে তিনি বেতনের কিছু অর্থ নিজের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেন। নাইরোবিতে একটি বাসা ভাড়া নেন। আর একটু ভাল বেতনের কাজ জোগাড় হয় আরেকটি নির্মাণ সাইটে। সেখানে এক পুরুষের সাথে আলাপ হয়। দুজনে মেলামেশা শুরু করেন। পুরুষটি তাকে বলে সে বাচ্চা চায়। আডামা একটা শর্ত দেন। বলেন ওই পুরুষ যদি তার কন্যা সন্তানকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসার ব্যাপারে রাজি হয়, যাতে তারা একসাথে থাকতে পারে, তাহলে ওই পুরুষের সাথে আরেকটি সন্তান নিতে তিনি রাজি আছেন। পুরুষটি রাজি হন। আডামা অন্ত:স্বত্তা থাকার প্রথম পাঁচ মাস তিনি বাসাভাড়া, ও যাবতীয় খরচ দিয়েছেন, খাবারদাবার কিনেছেন। আডামা তখনও তার মেয়েকে গ্রাম থেকে শহরে আনার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এরই মধ্যে পুরুষটি একদিন তাকে ছেড়ে চলে যায়। সে আর কখনও ফিরে আসেনি। কেনিয়ার দরিদ্র নারীরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে পাচারকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেক নারীই জানে একজন সন্তানকে পৃথিবীতে আনার আগে তার খাওয়াপরা জোগানোর চিন্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর দুজন হলে তো সে চিন্তা আরও বেড়ে যায়। কেউই অপরিচিত লোকের কাছে নিজের সন্তান বিক্রি করার কথা কখনই ভাবে না। কিন্তু কেনিয়ার দরিদ্র কিছু নারী অভাবে পড়ে বাঁচার শেষ উপায় হিসাবে পাচারকারীদের কাছে তাদের শিশুসন্তানদের বিক্রি করছে। পাচারকারীরা এর বিনিময়ে এসব নারীকে এত কম অর্থ দেয় যা অভাবনীয়। আরেকজন নারী সারা, যখন দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেন, তার বয়স ছিল ১৭। বাচ্চার ভরনপোষণ���র সামর্থ্য তার ছিল না। এক মহিলার কাছে সে বাচ্চাকে বিক্রি করে দেয় ৩০০০ কেনিয়ান শিলিং-এর বিনিময়ে- পাউন্ডের হিসাবে যার অর্থমূল্য মাত্র বিশ পাউন্ড। \"আমার বয়স ছিল কম, আমি যে কী ভুল করছি, তখন বুঝিনি,\" তিনি বলেন। \"পাঁচ বছর পর আমি বুঝেছিলাম কী করেছি। আমি মহিলাকে ওই অর্থ ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।\" তিনি বলেন, আরও কয়েকজন নারীর কথা তিনি জানেন যারা প্রায় একই অর্থের বিনিময়ে সন্তানকে বেচে দিয়েছে। \"চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে মেয়েরা সন্তান বিক্রি করছে। অনেকে মায়ের দাবি মেটাতে না পেরে সন্তান বেচেছে, অনেকে আবার স্কুলে পড়তে পড়তে অন্ত:স্বত্তা হয়ে গেছে ১৫/১৬ বছর বয়সে, যা নানাধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। একমাত্র পথ তখন সন্তানকে বিক্রি করে দেয়া।\" \"এসব মেয়েদের পরামর্শ দেবার বা তাদের সাথে কথা বলার কেউ নেই।\" আরও পড়তে পারেন: সন্তানকে বৈধ পথে দত্তকের জন্য দেবার প্রক্রিয়ার কথা আডামাকে কেউ বলেনি। ''আমি কখনও এ বিষয়ে কিছু শুনিনি,'' আডামা জানান আফ্রিকার মধ্যে যেসব দেশে কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার সবচেয়ে বেশি, তার অন্যতম হল কেনিয়া। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে। মহামারির কারণে কিছু নারীকে বাধ্য হয়ে যৌন কর্মীর কাজ করতে হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক মেয়ের জন্য স্কুল নিয়মের শৃঙ্খলও ভেঙে পড়েছে। \"আমি বহু নারী ও মেয়ের এধরনের পরিস্থিতিতে পড়ার কাহিনি শুনেছি। অল্পবয়সী মেয়েরা কাজের খোঁজে শহরে আসছে, পুরুষদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে, অন্ত:স্বত্তা হচ্ছে, তারপর সন্তানের বাবা তাদের পরিত্যাগ করে চলে যাচ্ছে,\" বলছেন কেনিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী প্রুডেন্স মুটিসো। তিনি শিশু সুরক্ষা এবং প্রজনন অধিকার নিয়ে কাজ করেন। \"সন্তানের পিতা যদি এসব নারীদের অর্থ না দেন, তাহলে আয়ের জন্য তাদের বিকল্প পথ খুঁজতেই হয়। আর তার থেকেই সন্তান বিক্রিতে তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। তারা ভাবছে এভাবে নিজেদের এবং হয়ত গ্রামে রেখে আসা আগের সন্তানদের ভরনপোষণের জন্য হাতে কিছু অর্থ আসবে। লোকে এসব নিয়ে কথা বলে না, কিন্তু এটা একটা সমস্যা।\" আডামা যে নির্মাণ কোম্পানিতে কাজ করত, সেখানে তার গর্ভধারণের খবর যতদিন পর্যন্ত সম্ভব লুকিয়ে রেখেছিল। যতদিন না সিমেন্টের ভারী বস্তা তার পক্ষে আর বহন করা সম্ভব হয়নি বা তার পেটের আকৃতি আ��� গোপন করা সম্ভব হয়নি, সে বলে নি সে অন্ত:স্বত্তা। বললে ঘর ভাড়ার অর্থ হাতে আসত না। তিন মাস তার বাড়িওয়ালা সময় দিয়েছিল। তারপর তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঘরে কাঠের দেয়াল তুলে ঘর বন্ধ করে দেয়। আট মাসের অন্ত:স্বত্তা আডামা কোন বাড়ির পেছনে লুকিয়ে ঢুকে রাতটুকু ঘুমতেন, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে বেরিয়ে যেতেন। \"ভাগ্য ভাল থাকলে কোনদিন কিছু খাবার জুটত,\" তিনি বলেন। \"কখনও কখনও শুধু পানি খেয়ে কাটত।\" কেনিয়ায় সাম্প্রতিক কয়েক বছরে কিশোরী মেয়েদের গর্ভধারণের হার বেড়ে গেছে কেনিয়ায় কোন একজন নারী আডামার পরিস্থিতিতে পড়লে, তাদের পাচারকারীদের কব্জায় পড়তে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করে। দেশটিতে গর্ভবতী মা বা শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়লে তবেই গর্ভপাত বৈধ। ফলে এসব ক্ষেত্রে গর্ভপাতের জন্য বিকল্প হল ঝুঁকিপূর্ণ হাতুড়েদের শরণাপন্ন হওয়া। এছাড়াও সমস্যা হল বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের যৌনতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষাদানের অভাব, বিশেষ করে গ্রাম এলাকায়। তাছাড়া বৈধ পথে শিশুকে দত্তক দেয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কেও সচেতনতার বড় অভাব রয়েছে। \"কোন নারী বা কিশোরী গর্ভের সন্তান না চাইলে সরকারের দিক থেকে তাকে সাহায্য করার কোন ব্যবস্থা নেই,\" বলছেন হেল্থ পভার্টি অ্যাকশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কেনিয়া শাখার পরিচালক ইব্রাহিম আলি। \"এসব নারী প্রায়শই গ্রামাঞ্চলে অবস্থার শিকার হয়ে পড়েন এবং তাদের একঘরে করার প্রবণতা থাকে, ফলে তারা পালানোর পথ বেছে নেন, এবং শহরে গিয়ে তারা ঝুঁকির মুখে থাকেন।\" তার সন্তানকে বৈধভাবে ও নিরাপদে কারো হাতে তুলে নেবার যে পথ আছে আডামা তা জানতেনই না। দত্তক প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিল না। \"আমি জানতামও না, কখনও এ বিষয়ে শুনিওনি,\" তিনি বলেন। তিনি হাতুড়েকে দিয়ে গর্ভপাতের কথা ভেবেছিলেন, তিনি বলেন। কিন্তু ধর্মবিশ্বাসের কারণে তা তিনি করতে পারেননি। তিনি এরপর আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। \"আমার মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল, ভাবছিলাম পানিতে ডুবে কীভাবে আত্মহত্যা করা যায়, যাতে মানুষ আমার কথা পুরো ভুলে যায়।\" তার সন্তান প্রসবের কয়েক সপ্তাহ আগে একজন তার সাথে মেরি আওমা নামে এক মহিলার আলাপ করিয়ে দেয়। তিনি বলেন গর্ভপাত বা আত্মহত্যা কোনটাই করো না। তিনি নাইরোবির বস্তি এলাকা কেওলে রাস্তার ধারে একটি অবৈধ ক্লিনিক চালাতেন। ���িনি আডামাকে ১০০ শিলিং (স্থানীয় মুদ্রা) দেন এবং বলেন পরেরদিন তার ক্লিনিকে যেতে। মেরি আওমা, কেওলে একটি অবৈধ ক্লিনিক চালান, সেখানে তিনি মুনাফা রেখে শিশু কেনা বেচা করেন। মেরি আওমার অস্থায়ী ক্লিনিকটি আসলেই কোন ক্লিনিক নয়। কেওলের রাস্তার পাশে একটা সন্দেহজনক দোকানঘরের পেছনে লুকানো দুটি ঘর নিয়ে এই ক্লিনিক। দোকানের ভেতর কয়েকটি খালি তাক, তাতে ছড়ানো ছেটানো কিছু পুরনো ওষুধপত্র। তার পেছনে রয়েছে দুটো ঘর, যেখানে নারীদের প্রসব করানো হয়। ভেতরে বসেন মেরি তার সহকারীকে সাথে নিয়ে। মুনাফা রেখে বাচ্চা কেনাবেচা করেন। যারা বাচ্চা কিনছেন তারা কে বা কেন কিনছেন সেসব খোঁজ নেবার কোন দরকার তিনি দেখেন না। আডামাকে তিনি বলেছিলেন তার খদ্দেররা সবাই মমতাময়ী পরিবার, তারা বাচ্চা নিতে পারেন না, তাই তারা বাচ্চা কেনেন। কিন্তু রাস্তার যে কেউ তার হাতে ঠিক ঠিক নগদ অর্থ তুলে দিলেই আওমা খুশি- তিনি সদ্যোজাতদের বেচে দেন। মেরি আওমা গর্ভবতীদের বলেন তিনি আগে নার্স ছিলেন। কিন্তু শিশু প্রসবের সময় বড়ধরনের সমস্যা হলে তা মোকাবেলার জন্য কিন্তু তার কাছে না আছে চিকিৎসা বা অন্যান্য সরঞ্জাম বা তার নিজের বিষয়ে কোন দক্ষতা। \"তার ওই ঘরটা নোংরা। রক্তের জন্য তিনি একটা ছোট পাত্র ব্যবহার করেন, ঘরে কোন বেসিন নেই, বিছানাও অপরিষ্কার,\" আডামা বলেন। \"কিন্তু আমার তখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমার কাছে আর কোন বিকল্প ছিল না।\" আডামা যখন সেই ক্লিনিকে পৌঁছন, মেরি আওমা তাকে দুটি ট্যাবলেট খেতে দেন। তিনি বলেননি প্রসববেদনা তাড়াতাড়ি ওঠানোর জন্য তাকে ওই ট্যাবেলট দেয়া হয়েছে, জানান আডামা। আওমার হাতে একজন খদ্দের ছিল এবং তিনি চাইছিলেন তাড়াতাড়ি বাচ্চাটা তার কাছে বিক্রি করে দিতে। আডামা যখন একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলেন, জন্মের পর তার বুকের সমস্যা দেখা দিল। মেরি আডামাকে বললেন বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে যখন ছেড়ে দেয়া হল, তখন সে সুস্থ হয়ে গেছে। তার বাড়িওয়ালা, যিনি তাকে বের করে দিয়েছিলেন, তিনি তাকে ঘরে আবার ঢুকতে দেন, এবং আডামা বাচ্চাটিকে সেখানে দেখাশোনা শুরু করেন। মেরি আওমার সাথে আবার আডামার বাজারে দেখা হয়ে যায়, আওমা তাকে আবার ১০০ শিলিং দেন এবং বলেন পরদিন তার ক্লিনিকে যেতে। \"আরেকটি শিশু জন্মেছে,\" আওমা তার খদ্দেরের কাছে টেক্সট মেসেজ পা���িয়ে বলেন, দাম \"৪৫,০০০ শিলিং।\" আডামার তার সন্তানকে কোলে করে আদর করছেন, তাকে বিক্রি করে দেবার কয়েক মুহূর্ত আগে মেরি আওমা কিন্তু আডামাকে ৪৫,০০০ শিলিং দেবার প্রস্তাব দেননি- পাউন্ডের হিসাবে যা ৩০০ পাউন্ডের সমান। যে অর্থ তিনি খদ্দেরের কাছে দাবি করেছিলেন। তিনি আডামাকে ১০ হাজার শিলিং (প্রায় ৭০ পাউন্ড) দিতে চান। কিন্তু মেরি আওমা জানতেন না যে, যে খদ্দেরকে তিনি ঠিক করেছেন তিনি ছদ্মপরিচয়ে বিবিসির সাংবাদিক। বিবিসি শিশু পাচার নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য এক বছর ধরে তাদের অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। আডামা যখন পরদিন মেরির ওই ক্লিনিকে গেলেন, তিনি পেছনের ঘরে বসলেন, কোলে ছিল তার পুত্র সন্তান। তিনি যখন বসেছিলেন তার শিশুর কথিত খদ্দের তার কানে ফিসফিস করে তার কাছে আর কী বিকল্প আছে সে বিষয়ে কিছু বললেন। আডামা সেদিন ছেলে কোলে নিয়ে ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যান। শিশুকে নিয়ে যান সরকার পরিচালিত একটি শিশু আশ্রয় কেন্দ্রে। সেখানে তার শিশুর যত্ন নেয়া হবে যতদিন না বৈধ পথে তার দত্তকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিবিসি মেরি আওমাকে বলেছিল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তার কিছু বলার আছে কিনা, মেরি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। আডামার বয়স এখন ২৯। তিনি ফিরে গেছেন তার গ্রামে যেখানে তিনি বড় হয়েছিলেন। এখনও তিনি অনেক সময়ই অভুক্ত ঘুমাতে যান। জীবন এখনও তার জন্য সংগ্রামের। কাছের একটা হোটেলে মাঝেমধ্যে তার কাজ জোটে। কিন্তু সেই আয় যথেষ্ট নয়। তার স্বপ্ন তার গ্রামে তিনি একটা জুতার দোকান খুলবেন। নাইরোবি থেকে জুতা এনে বিক্রি করবেন। কিন্তু এটা তার অনেক দূরের স্বপ্ন। ছেলের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। কিন্তু তার কোন দুঃখ নেই। \"ছেলেকে বিক্রি করতে আমি চাইনি। আমি ওই অর্থ ছুঁতে পর্যন্ত চাইনি। কিন্তু ওকে যখন আর্থিক লেনদেন ছাড়া দিয়ে দিতে হল, তখন দুঃখ পাইনি।\" যে শিশু আশ্রয় কেন্দ্রে তিনি তার ছেলেকে রেখে এসেছেন সেই এলাকা তার পরিচিত। ছেলের জন্মের কয়েকদিন আগে যে বাসা থেকে বাড়িওয়ালা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, কেন্দ্রটি তার কাছেই। \"আমি জানি এলাকাটা নিরাপদ,\" তিনি বলেন, \"এবং যারা ওর দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন তারা ভাল লোক।\" রিপোর্টিং-এ সহযোগিতা করেছেন এনজেরি এমওয়াঙ্গি। বিবিসির জন্য ছবি তুলেছেন টনি ওমোন্ডি।", "doc2": "Adama est retournée vivre dans son village. \"La vie a été si dure\", dit-elle. La vie d'Adama était facile quand elle avait ses parents, dit-elle. L'argent était rare et ses options étaient déjà limitées, mais il y avait un ordre des choses qui avait un sens. Elle allait à l'école et ses parents la chérissaient. Elle avait peu de soucis. Puis son père est mort quand elle avait 12 ans, et sa mère est morte quelques années plus tard. \"La vie est devenue si dure à cette époque\", explique-t-elle lors d'une conversation dans son village de la campagne de l'ouest du Kenya. \"J'ai dû abandonner l'école et me débrouiller seule.\" A ne pas manquer sur BBC Afrique : À 22 ans, Adama a rencontré un homme et est tombée enceinte, mais il est mort trois jours après la naissance de leur fille. Sa solitude s'est aggravée. Elle a soigné son bébé souffrant d'une maladie infantile jusqu'à ce que la fille aille mieux, à environ 18 mois, puis elle a eu besoin d'un revenu régulier pour les maintenir tous les deux en vie. Adama a donc laissé le bébé à sa grand-mère âgée et s'est rendue à Nairobi pour trouver du travail. \"N'oublie pas que tu t'en vas pour gagner ta vie afin de subvenir aux besoins de ton enfant\", lui a dit sa grand-mère. Lire aussi : Adama arrive à Nairobi et commence par vendre des pastèques dans la rue, mais cela ne paie pas assez et sa colocataire vole l'argent qu'elle laisse à la maison. La vie en ville était également difficile : elle a une cicatrice sur le haut de son front, juste sous ses cheveux coupés, suite à une bagarre. \"Des hommes me provoquaient et j'en suis arrivée à un point où je devais me défendre\", dit-elle. Elle a ensuite travaillé sur un chantier, où elle n'a pas été payée du tout, puis dans une boîte de nuit, où elle a demandé à son patron d'envoyer sa paie directement à sa grand-mère au village. Lire aussi : Au bout d'un certain temps, Adama a pris une partie de son salaire à Nairobi pour pouvoir louer un endroit où vivre. Elle a trouvé un nouveau travail avec un salaire légèrement supérieur sur un autre chantier, et y a rencontré un homme. Ils sont sortis ensemble pendant un certain temps et il lui a dit qu'il voulait avoir un enfant. Adama lui a proposé un marché : si elle pouvait amener sa petite fille vivre avec eux, ils pourraient avoir un enfant ensemble. Il a accepté et, pendant les cinq mois de sa grossesse, il a payé le loyer et les factures et a acheté de la nourriture pour leur maison, et Adama a attendu le bon moment pour amener sa petite fille en ville. Puis il est parti un jour et n'est jamais revenu. Au Kenya, les femmes pauvres sont poussées vers les trafiquants par la pauvreté. Beaucoup de femmes connaissent l'angoisse de se préparer à mettre un enfant au monde sans avoir assez d'argent pour le nourrir. La plupart n'envisageront jamais de vendre leur enfant à un étranger. Mais pour certaines femmes enceintes vivant dans la pauvreté au Kenya, la vente d'un bébé à des trafiquants est devenue la dernière option de survie parmi un nombre limité. Les trafiquants paient des sommes scandaleusement basses. Sarah avait 17 ans lorsqu'elle est tombée enceinte de son deuxième enfant, sans aucun moyen de subvenir aux besoins du bébé, dit-elle. Elle l'a vendu à une femme qui lui a offert environ 15.000 FCFA. A regarder : Au Kenya, la pauvreté pousse des femmes à vendre leurs enfants à des trafiquants \"A ce moment-là, j'étais jeune, je n'ai jamais pensé que ce que je faisais était mal\", a-t-elle déclaré. \"Au bout de cinq ans, j'ai compris, et j'ai voulu lui rembourser l'argent.\" Elle a dit qu'elle connaissait d'autres femmes qui avaient vendu des bébés pour des sommes similaires. \"Beaucoup de filles vendent leurs bébés en raison de difficultés. Peut-être qu'elle a été chassée de chez elle par sa mère et qu'elle n'a plus rien, ou qu'elle était encore à l'école quand elle est tombée enceinte. C'est trop de problèmes pour une fille de 15 ou 16 ans\". \"Vous trouverez des filles qui perdent leur bébé et tout ce qu'elles possèdent parce qu'il n'y a personne pour les aider\". Adama n'a jamais été informée des procédures légales d'adoption. \"Je n'en avais jamais entendu parler\", dit-elle. Le Kenya a l'un des taux les plus élevés de grossesse chez les adolescentes en Afrique, et les experts de la santé disent que le problème s'est aggravé pendant la pandémie de coronavirus, certaines femmes étant poussées à se prostituer pour survivre et les jeunes filles ne pouvant poursuivre leur scolarité avec le confinement. \"J'ai entendu tant d'histoires de femmes et de filles dans cette situation. Les jeunes femmes viennent dans les villes pour chercher du travail, elles se mettent en couple, tombent enceintes et sont abandonnées par le père de leur enfant\", raconte Prudence Mutiso, une avocate kenyane spécialisée dans la protection de l'enfance et les droits génésiques. \"Si le père ne veut pas payer, alors ces femmes et ces filles doivent trouver d'autres moyens de remplacer ce revenu. Et c'est ce qui les pousse à s'adresser à ces vendeurs de bébés, afin qu'elles puissent obtenir de quoi subvenir à leurs besoins et peut-être à ceux des enfants qu'elles ont déjà chez eux. Les gens n'en parlent pas ouvertement, mais ça existe\", poursuit l'avocate. Lire également : Adama a caché sa grossesse aussi longtemps que possible sur le chantier, jusqu'à ce qu'elle ne puisse plus porter de lourds sacs de ciment ni dissimuler son ventre. Elle n'a alors plus d'argent pour payer son loyer. Pendant trois mois, son propriétaire lui a accordé sa grâce, puis il l'a mise à la porte. À huit mois de grossesse, Adama a commencé à rentrer par effraction dans la maison tard dans la nuit, juste pour dormir, et partir à la première heure le matin. \"Dans les bons jours, j'avais la chance d'avoir de la nourriture\", dit-elle. \"Parfois, je buvais de l'eau, je priais et je dormais\". Le Kenya a connu une augmentation des grossesses chez les adolescentes ces dernières années Lorsqu'une femme se retrouve dans la situation d'Adama au Kenya, plusieurs facteurs peuvent converger pour la pousser dans les mains des trafiquants. L'avortement est illégal, sauf si la vie de la mère ou de l'enfant est en danger, ce qui ne laisse que des alternatives illégales et dangereuses. Il y a également un manque important d'éducation à la santé sexuelle et reproductive pour les adolescents, en particulier dans les zones rurales, ainsi qu'un manque de sensibilisation aux processus d'adoption légale. \"Les femmes et les filles qui ont des grossesses non désirées ne bénéficient pas du soutien du gouvernement\", explique Ibrahim Ali, organisateur kenyan de l'association caritative Health Poverty Action. \"Ces femmes ont souvent été victimisées et stigmatisées, en particulier dans les zones rurales, et elles ont tendance à s'enfuir, ce qui les place dans des situations vulnérables dans les villes\", raconte-t-il. Lire plus : Adama n'avait aucune idée des options légales qui s'offraient à elle pour abandonner son enfant en toute sécurité, et ne comprenait pas le processus d'adoption. \"Je n'étais pas du tout au courant\", a-t-elle déclaré. \"Je n'en avais jamais entendu parler.\" Elle a envisagé un avortement clandestin, a-t-elle dit, mais n'a pas pu concilier cette idée avec sa foi. Puis, elle a envisagé de se suicider. \"J'étais tellement stressée que j'ai commencé à penser à comment je pourrais me suicider en me noyant, pour que les gens puissent m'oublier.\" Mais quelques semaines avant la date prévue de son accouchement, quelqu'un a présenté Adama à une femme bien habillée du nom de Mary Auma, qui lui a dit de ne pas se faire avorter ou de mettre fin à sa vie. Mary Auma dirige une clinique illégale dans Kayole, un bidonville de Nairobi. Elle a donné à Adama 483.778 FCFA et lui a dit de venir à la clinique le lendemain. Mary Auma dans sa clinique à Kayole, où elle achète et vend des bébés. La clinique improvisée de Mary Auma n'est pas vraiment une clinique. Ce sont deux pièces cachées derrière une façade de magasin discrète dans une rue de Kayole. A l'intérieur, il y a quelques étagères pour la plupart vides, parsemées de vieux médicaments, derrière lesquelles se trouvent les salles où les femmes peuvent accoucher. Auma est assise à l'intérieur avec son assistante, achetant et vendant des bébés, sans avoir à vérifier qui les achète ou à quoi ils servent. Elle a dit à Adama que ses acheteurs étaient des parents aimants incapables de concevoir, qui allaient subvenir aux besoins d'un enfant très désiré. Mais en réalité, Auma vendra un bébé à au premier venu qui se promènera dans la rue avec la bonne somme d'argent. Auma dit aussi aux futures mères qu'elle est une ancienne infirmière, mais qu'elle n'a pas l'équipement médical, les compétences ou les installations sanitaires nécessaires pour faire face à un grave problème pendant l'accouchement. Lire encore : \"Son appartement était sale, elle utilisait un petit récipient pour le sang, elle n'avait pas de cuvette, et le lit n'était pas propre\", se souvient Adama. \"Mais j'étais désespérée, je n'avais pas le choix.\" Quand Adama est arrivé à la clinique, Mary Auma lui a donné deux comprimés sans prévenir, pour provoquer le travail, a dit Adama. Auma avait un acheteur en ligne et elle était impatiente de faire une vente. Mais quand Adama a accouché, le petit garçon a développé des problèmes de poitrine et a eu besoin de soins urgents, et Auma a dit à Adama de l'emmener à l'hôpital. Après une semaine d'hospitalisation, Adama est sortie de l'hôpital avec un garçon en bonne santé. Le propriétaire qui l'avait mise à la porte lorsqu'elle était enceinte l'a autorisée à revenir et elle a allaité le bébé. Peu de temps après, elle a rencontré Mary Auma de nouveau au marché. Auma lui a donné 483 FCFA (100 shillings) supplémentaires et lui a dit de venir à la clinique le lendemain. \"Un nouveau paquet est né\", a écrit Auma à son acheteur. \"45,000 shilling kenyans\" Adama berçant son bébé, quelques instants avant qu'elle ne soit censée le vendre Mary Auma n'offrait pas à Adama les 217 584 FCFA (45 000 shillings), elle faisait une offre à l'acheteur. Elle a offert à Adama 50 723 FCFA (10 000 shillings). Mais Mary Auma ne savait pas que l'acheteur qu'elle avait trouvé était un journaliste sous couverture travaillant pour la BBC, dans le cadre d'une enquête d'un an sur le trafic d'enfants. Lorsque Adama s'est rendue à la clinique de fortune le lendemain, elle s'est assise dans l'arrière-salle, en berçant son petit garçon dans ses bras. Au cours d'une discussion, le supposé acheteur lui a dit qu'elle avait d'autres options, et Adama a changé d'avis. Ce jour-là, elle a quitté la clinique en tenant son fils dans ses bras et l'a emmené dans un foyer pour enfants géré par le gouvernement, où il sera pris en charge jusqu'à ce qu'une adoption légale puisse être organisée. La BBC a demandé à Mary Auma de répondre aux accusations faites dans ce reportage, mais elle a refusé. A regarder : Acheter un bébé au marché noir Adama a maintenant 29 ans et vit à nouveau dans le village où elle a été élevée. Elle se couche encore parfois le ventre vide. La vie est encore difficile. Elle travaille occasionnellement dans un petit hôtel des environs, mais pas assez. Elle lutte pour ne pas boire. Elle rêve d'ouvrir son propre magasin de chaussures dans le village et de faire venir des chaussures de Nairobi, mais c'est un rêve lointain. Elle n'a aucun contact avec son fils, mais elle n'a aucun regret. \"Je n'étais pas heureuse de vendre mon enfant, je ne voulais même pas toucher à cet argent\", dit-elle. Elle connaît le quartier autour de la maison d'enfants où elle a laissé son fils. C'est près de la maison d'où elle a été chassée quand elle était presque prête à lui donner naissance. \"Je sais que le quartier est sûr\", dit-elle, \"et que les gens qui s'occupent de lui sont bons\". Reportage complémentaire de Njeri Mwangi. Photographies de Tonny Omondi pour la BBC."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44922081", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/sports-44923766", "doc1": "তুর্কী প্রেসিডেন্টের সাথে মেসুত ওজিল (বাম থেকে দ্বিতীয়) লন্ডনে গত মে মাসের এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে ছবি তোলার পর জার্মানিতে তীব্র সমালোচনা হয় ইংলিশ ফুটবল ক্লাব আর্সেনালের ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। মেসুত ওজিল বলেছেন, একারণে অনেকে তাকে হুমকি ধামকি দিয়েছেন, তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তাকে অনেকে ইমেইল করেছেন এবং রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শুরুতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার জন্যে তাকে দায়ী করেছেন। \"আমরা যখন জিতি তখন আমি জার্মান, কিন্তু যখন হেরে যাই তখন একজন বিদেশি,\" বলেন ওজিল। ওজিলের এই অভিযোগের জবাবে জার্মান ফুটবল প্রধানের কাছ থেকে এখনও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসুত ওজিলের জন্ম জার্মানির গেলজেনকিরশেনে। তিনি তুর্কী বংশোদ্ভূত তৃতীয় প্রজন্মের জার্মান নাগরিক। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জার্মানির হয়ে ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ওজিল। জার্মান ফুটবল ভক্তদের ভোটে ২০১১ সালের পর থেকে মোট পাঁচবার তিনি বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ওজিল বলছেন, সম্প্রতি তার প্রতি যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে তাতে তিনি \"জার্মান জাতীয় দলের শার্ট পরতে আর আগ্রহী নন।\" সোশাল মিডিয়াতে লম্বা একটি বিবৃতি দিয়েছেন মেসুত ওজিল যাতে তিনি বলেছেন, জার্মানিতে সরকারকে কর দেওয়া, ভাল�� কাজের জন্যে দান করা এবং বিশ্বকাপ জয়ের অংশীদার হওয়ার পরেও তার মনে হচ্ছে যে জার্মান সমাজ তাকে গ্রহণ করে নিতে পারছে না। তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে ছবি তোলার পর তাকে যারা সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন ডিএফবিও। ওজিল লিখেছেন, \"সাম্প্রতিক এসব ঘটনাবলীর কথা বিবেচনা করে আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এটা খুবই কষ্টের যে জার্মানির হয়ে আমি আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবো না। এরকম বর্ণবিদ্বেষ এবং অসম্মান নিয়ে আমি জার্মানির হয়ে খেলতেও পারবো না।\" \"খুব গর্ব আর আনন্দ নিয়ে আমি জার্মান জার্সি পরতাম। কিন্তু এখন আর সেরকম নয়। আমার নিজেকে এখানে অনাকাঙ্খিত মনে হয়। আমার মনে হয়, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আমার অভিষেক হওয়ার পর থেকে আমি যা কিছু অর্জন করেছি সেসব মানুষ ভুলে গেছে,\" লিখেছেন তিনি। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মেসুত ওজিল। আরো পড়তে পারেন: হলি আর্টিজান: চার্জশিটে অভিযুক্ত ৮, নেতৃত্বে রোহান ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরকে 'নজিরবিহীন যুদ্ধের' হুঁশিয়ারি ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর হারার পর নেইমারের প্রতিক্রিয়া আসলে কেমন ছিলো? তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে ওজিলের দেখা হয়েছিল গত মে মাসে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে। তার সাথে ছিলেন আরো একজন জার্মান ফুটবলার ইলকে গুনদোগান। তিনিও তুর্কী বংশোদ্ভূত। খেলেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে। ওজিল বলেছেন, সেদিনের সেই অনুষ্ঠানে তিনি ও গুনদোগান মিলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথে ফুটবল নিয়ে কথা বলেছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে আর্সেনালের একটি জার্সিও এসময় উপহার দিয়েছিলেন তিনি। পরে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টি নির্বাচনের আগে ছবিটি প্রকাশ করে। নির্বাচনে মি. এরদোয়ান আবারও জয়ী হয়েছেন। এই ছবিটি গণমাধ্যমে আসার পর জার্মান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি ওজিল এবং গুনদোগানের আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক জার্মান রাজনীতিক। তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সরকার যেভাবে বিরোধী রাজনীতিকদের দমনপীড়ন করছে তার তীব্র সমালোচনা করেছে জার্মানি। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এই ছবি তুলে কার্যত ওজিল নির্বাচনে মি. এরদোয়ানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। তবে মেসুত ওজিল বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানের সাথে তার ছবি তোলার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তার পূর্বপুরুষের দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা না করলে তাকে অসম্মান করা হতো বলে মনে করেন তিনি। \"এটা রাজনীতি কিংবা নির্বাচনের বিষয় ছিল না। এটা ছিল আমার পরিবার যে দেশ থেকে এসেছে সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে সম্মান জানানো,\" বলেন তিনি। জার্মানিতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ তুর্কী বংশোদ্ভূত যা প্রায়ই দেশটির রাজনৈতিক বিতর্কে ইস্যু হয়ে উঠে। দেশটিতে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে জার্মানিতে দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ওজিল তার বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলেছেন, জার্মান দলে তার মতো আরো অনেকেই আছেন যাদের সাথে জার্মানি ছাড়াও অন্য আরেকটি দেশের যোগাযোগ আছে, তাদের বেলাতে সেরকম আচরণ করা হয়নি কেন? \"এটা কি একারণে যে দেশটি তুরস্ক? এটা কি একারণে যে আমি একজন মুসলমান? আমার মনে হয় এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আছে,\" বলেন তিনি। জার্মানির বিচারমন্ত্রী কাটারিনা বার্লি বলেছেন, মেসুত ওজিলের মতো এতো বড় একজন ফুটবলারের মনে যদি এই ধারণা তৈরি হয় যে তিনি এই দেশে কাঙ্খিত নন তাহলে এটা খুব উদ্বেগজনক।\" জার্মানির ফুটবল সাংবাদিক রাফায়েল হনিগস্টেইন বলেছেন, এটা জার্মান ফুটবলের জন্যে একটি দুঃখজনক দিন। তিনি বলেন, জার্মান ফুটবল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার যেধরনের সমর্থন পাওয়ার কথা ছিল সেটা তিনি পান নি।", "doc2": "Mesut Ozil, footballeur allemand d'origine turque Le footballeur a été critiqué après avoir été photographié avec le président turc Recep Tayyip Erdogan lors d'un événement à Londres en mai. Il dit avoir reçu des courriers de propagande haineuse et de menace qui le blâmait pour sa décevante prestation à la Coupe du Monde avec l'équipe d'Allemagne. Les premiers responsables du football allemand n'ont pas encore réagi aux déclarations d'Ozil. Cependant, la chancelière Angela Merkel \"respecte\" sa décision car il a beaucoup fait pour l'équipe nationale, a déclaré lundi son porte-parole. Mesut Ozil est de la troisième génération turco-allemande. Il est né à Gelsenkirchen dans le Nord-Ouest de l'Allemagne. A lire aussi : L'Allemagne, championne en titre éliminée Le joueur était l'un des acteurs clé de la victoire de l'Allemagne lors de la Coupe du monde 2014. Auréolé de 92 sélections à 29 ans, il a été élu joueur de l'année de l'équipe nationale à cinq reprises depuis 2011 par les fans. Cependant, l'équipe n'a pas réussi à dépasser les phases de poules lors de la récente Coupe du Monde en Russie, en dépit d'être l'un des favoris. Ozil a déclaré que son récent traitement l'avait \"empêché de porter le maillot de l'équipe nationale allemande\". A lire aussi : L'Allemagne jusqu'au bout du bout Dans une longue déclaration publiée sur les médias sociaux, il a déclaré qu'il ne se sentait pas accepter dans la société allemande malgré le fait de payer des impôts, de faire des dons pour des œuvres caritatives et d'être un vainqueur de la Coupe du monde. L'association allemande de football, la DFB, faisait partie de ceux qui critiquaient Ozil après qu'il a pris sa photo avec Erdogan. \"C'est avec le cœur lourd et après beaucoup de considération qu'en raison des événements récents, je ne jouerai plus pour l'Allemagne au niveau international alors que j'ai ce sentiment de racisme et d'irrespect\", a déclaré le joueur. \"J'avais l'habitude de porter le maillot allemand avec beaucoup de fierté et d'enthousiasme, mais maintenant je ne le fais pas, je me sens indésirable et je pense que ce que j'ai réalisé depuis mes débuts internationaux en 2009 a été oublié.\" Une photo controversée Ozil a rencontré Erdogan en mai avec son compatriote international Ilkay Gundogan, le joueur de Manchester City qui est également d'origine turque. Ozil dit que lui et Gundogan ont parlé de football avec le président. Ilkay Gundogan et Mesut Ozil, avec Cenk Tosun d'Everton, posent avec le président turc Par la suite, des photographies ont été publiées par le parti au pouvoir, AKP, dans le cadre des préparatifs des élections dans le pays, remportées par Erdogan. De nombreux politiciens allemands ont mis en doute la loyauté d'Ozil et Gundogan envers les valeurs démocratiques allemandes. L'Allemagne avait déjà critiqué la répression du leader turc sur l'opposition politique suite au coup d'Etat manqué à Ankara. A lire aussi : Le Maroc tient à organiser le mondial Gundogan a ensuite publié une déclaration dans laquelle il a déclaré qu'il \"honore les valeurs allemandes à 100%\" et n'a jamais voulu que la photo soit considérée comme un soutien politique. Les joueurs ont rencontré le président de la fédération allemande pour expliquer ce cliché au cœur de la polémique, bien qu'Ozil n'ait pas publié de déclaration publique avant dimanche. Il a souligné qu'Erdogan avait également rencontré la reine et le Premier ministre Theresa May alors qu'il était en Angleterre et qu'il aurait \"manqué de respect aux racines de ses ancêtres\" s'il n'avait pas posé pour des photos avec le président turc. \"Il ne s'agissait pas de politique ou d'élections, mais de la plus haute fonction du pays de ma famille\", a-t-il ajouté. Un problème social plus large pour l'Allemagne ? L'Allemagne accueille environ trois millions de personnes d'origine turque - un point régulièrement soulevé dans le débat politique dans le pays, où l'immigration et la montée des partis d'extrême droite sont des questions clés pour beaucoup. Mesut Ozil acteur clé de la victoire allemande au Brésil Et Ozil dans sa déclaration s'interroge sur le traitement réservé à ses autres coéquipiers qui ont une double origine. Ces derniers n'ont pas été soumis au même traitement. A lire aussi : Champions du monde et d'Afrique ? \"Est-ce parce que c'est la Turquie ? Est-ce parce que je suis musulman ? Je pense que c'est là un problème important\", a-t-il déclaré. Le socio-démocrate Katarina Barley, ministre allemande de la Justice, a déclaré: \"Il est inquiétant qu'un grand footballeur allemand comme Mesut Ozil ne se sente plus dans son pays.\" Mais Thomas Bareiss, un membre important des Chrétien-démocrates de la chancelière Angela Merkel, a déclaré que \"le manque de respect\" était \"déplacé\", tandis que le quotidien allemand Bild disait que \"le rôle de la victime n'a rien à voir avec la réalité\". Stephan Mayer, secrétaire d'Etat au ministère allemand de l'Intérieur, a déclaré à BBC Radio 4 que Ozil était \"naïf\" de penser que la photo n'était pas politique étant donné que c'était juste quelques semaines avant une élection. A lire aussi : Les Bleus victimes de racisme Cependant, il a déclaré que l'affaire avait traîné trop longtemps et avait été mal gérée. Les membres du gouvernement d'Erdogan en Turquie, quant à eux, ont montré leur soutien au footballeur. \"Je félicite Mesut Ozil qui, en quittant l'équipe nationale, a marqué le plus bel objectif contre le virus du fascisme\", a déclaré le ministre de la Justice, Abdulhamit Gul. Et le ministre des sports de Turquie, Mehmet Kasapoglu, de déclarer que le joueur avait pris une \"position honorable\". Une journée douloureuse pour le football allemand - analyse du journaliste sportif allemand Raphael Honigstein « Je pense que l'absence de soutien de la part de la fédération après que les médias allemands, mais aussi sur les médias sociaux, ont fait de lui bouc émissaire alors qu'il est le joueur le plus doué de sa génération fait de son départ une journée très pénible pour le football allemand dans son ensemble »."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56476753", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-56475123", "doc1": "বিশ্বের অধিকাংশ বিমান কোম্পানির বহরের সিংহভাগই এক বছর ধরে বেকার পড়ে আছে। ভ্যাকসিন এখন তাদের বড় ভরসা কোয়ান্টাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস বিবিসিকে বলেছেন একে একে অনেক দেশের সরকার এখন বল��ে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া না থাকলে অন্যদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ঢোকার অনুমতি মিলবে না। মি জয়েস বলেন, সরকারী নির্দেশ না এলেও বিমান সংস্থাগুলোর উচিৎ স্ব-উদ্যোগে এই শর্ত আরোপ করা। “যাত্রী এবং ক্রুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। বিমানের ভেতর সবাইকে নিরাপত্তা দিতে হবে।“ তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে টিকেট বুক করার শর্ত বদলাতে হবে। মি জয়েস মনে করেন যাত্রীরাও নতুন এই শর্ত মেনে নেবে। “আমাদের সিংহভাগ যাত্রীই মনে করেন টিকা বাধ্যতামূলক করা যথার্থ একটি পরিকল্পনা।“ তিনি জানান, কোয়ান্টাসের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৯০ শতাংশ যাত্রীই মনে করে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। অর্থাৎ টিকা নেওয়া না থাকলে বিমানে ভ্রমণ করা যাবেনা। ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিরোধী ডব্লিউএইচও একে একে অনেক দেশের সরকার এখন বলতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া না থাকলে অন্যদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ঢোকার অনুমতি মিলবে না- কোয়ান্টাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ অনেকেই বিমান যাত্রায় কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করার বিপক্ষে। ডব্লিউএইচও‘র একজন পরিচালক বার্নার্ডো মারিনো বিবিসিকে বলেন, “বিমান যাত্রায় ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা আমরা অনুমোদন করছি না।“ তিনি বলেন বেসরকারি খাত চাইলেও এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে সবগুলো দেশের সরকারকে অভিন্ন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিমান পরিবহণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সমিতির (আইএটিএ) হিসাব মতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিমান পরিবহন খাতের অবদান ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু করোনাভাইরাস সামলাতে বিশ্বজুড়ে নানা বিধিনিষেধের কারণে গত বছর যাত্রীসংখ্যা নজিরবিহীনভাবে কমে যায়। ২০১৯ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৫০ কোটি যে সংখ্যা গত ৭৬ শতাংশ কমে যায়। তবে মি জয়েস মনে করেন টিকা কর্মসূচি চললেও যাতায়াত বাড়লে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়বে। “মানুষকেও সে কারণে বুঝতে হবে যে এই ভাইরাস থেকে একশ ভাগ নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়।“ অক্সিজেন টেন্টে কোয়ান্টাস যাত্রী কমে যাওয়ায় গত বছরের শেষ ছয় মাসে কোয়ান্টাস ৮০ কোটি ডলার লোকসান করেছে। অথচ ২০১৯ সালের একই সময়ে এই কোম্পানির মুনাফা হয়েছিল প্রায় ৬০ কোটি ডলার। লোকসানের কারণে কারণে কোম্পানির ৮,৫০০ জনকে চাকুরিচ্যুত করতে হয়েছে। সেই সাথে কয়েক হাজার কর্মীকে এখন বেতন দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। বিশ্বের প্রতিটি যাত্রী বিমান সংস্থার দুর্দশা কম-বেশি একইরকম। অনেক কোম্পানি তাদের সিংহভাগ বিমান বসিয়ে রেখেছে। সার্ভিস অনেক কমিয়ে দিয়েছে। কোয়ান্টাসও তাদের বহরের ৩১৪টি বিমানের দুই-তৃতীয়াংশই বসিয়ে রেখেছে। এসব বসিয়ে রাখা বিমানের ভেতর কিছু দোতলা এয়ারবাস এ-৩৮০ও রয়েছে। টিকেটের দাম কি বাড়বে? ২০২০ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৬ শতাংশ ফ্লাইটের সংখ্যা কমে গেলেও বিধিনিষেধ শিথিলের পর যাত্রী সংখ্যা বাড়া শুরু হলে টিকেটের দাম কি বাড়বে? মি জয়েস তা মনে করেন না। “বরঞ্চ কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোভিড পূর্ব সময়ের তুলনায় টিকেটের দাম অর্ধেক হয়ে যেতে পারে। যাত্রী বাড়াতে তা করতে হতে পারে।“ আরও পড়ুন: পর্যটন খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, ৪০ লাখ জনবল বেকার করোনাভাইরাস: মাঝ আকাশে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে নিশ্চিত হবে কেমন হবে লকডাউন-পরবর্তী যুগের ভ্রমণ? তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে বিমান যাত্রীর সংখ্যা ২০১৯ পর্যায়ে নিতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।“সুতরাং আমরা নিশ্চিত যে বিমান ভাড়া বাড়বে না।“ লং-হল ফ্লাইটের বিমানের চাহিদা বাড়বে কোয়ান্টাস তাদের আন্তর্জাতিক রুট পুনরায় শুরুর দিনক্ষণ জুলাই থেকে পিছিয়ে অক্টোবরের নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার মনে করছে ঐ সময়ের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের টিকা দেওয়া শেষ করা যাবে। মি জয়েস বলেন মহামারীর পর লং-হল ফ্লাইটের অর্থাৎ দূর পাল্লার বিরতিহীন ফ্লাইটের চাহিদা বাড়বে, কারণ যাত্রীরা এখন মাঝপথে অন্য কোনো বিমানবন্দরের ভিড় এড়াতে চাইবে। তিনি বলেন, এ ধরনের ফ্লাইট ব্যবসার জন্যও ভালো। এজন্য, কোয়ান্টাস পার্থ ছাড়াও সিডনি এবং এবং মেলবোর্ন থেকে লন্ডন এবং ইউরোপে বিরতিহীন ফ্লাইটের পরিকল্পনা করছে যেটা পরে ক্রমে ক্রমে নিউইয়র্ক পর্যন্ত নেওয়া হবে।", "doc2": "Alan Joyce, le patron de Qantas, affirme que les gouvernements insisteront pour que les voyageurs soient vaccinés contre le coronavirus. Les vaccins contre le coronavirus sont considérés comme essentiels pour relancer un secteur dont le nombre de passagers a chuté de 75,6 % l'an dernier. Le directeur général Alan Joyce a indiqué que de nombreux gouvernements considéraient la vaccination comme \"une condition d'entrée\". A ne pas manquer sur BBC Afrique : Même si ce n'est pas le cas, il pense que la compagnie aérienne doit appliquer sa propre politique. \"Nous avons un devoir de diligence envers nos passagers et notre équipage, qui consiste à dire que tout le monde dans cet avion doit être en sécurité\", explique M. Joyce. Il estime que cela justifierait la modification des conditions de réservation des billets. Un 737-800 de Qantas décolle de Sydney pour célébrer le 100e anniversaire de la compagnie aérienne pendant la pandémie. M. Joyce pense que les passagers seraient prêts à accepter ce changement. \"La grande majorité de nos clients pensent que c'est une excellente idée - 90 % des personnes que nous avons interrogées pensent qu'il devrait être obligatoire de se faire vacciner pour voyager à l'étranger.\" Mais certaines voix puissantes ne sont pas d'accord, notamment l'Organisation mondiale de la santé (OMS). Son directeur de la santé numérique et de l'innovation, Bernardo Mariano, réagit à la BBC : \"Nous n'approuvons pas le fait qu'un passeport de vaccinations soit une condition pour voyager\". Les passagers sont soumis à un contrôle de température après leur arrivée à Perth sur un vol Qantas en provenance de Brisbane. Il ajoute que, quelle que soit la volonté du secteur privé, une approche unifiée des gouvernements serait nécessaire pour qu'un tel changement fonctionne. Gérer le risque de virus L'aviation est vitale pour l'économie mondiale. L'Association internationale du transport aérien (Iata) estime que sle secteur contribue a hauteur de 1,8 billion de dollars (988 358 870 000 FCFA) d'activité économique mondiale. Mais les restrictions gouvernementales et les craintes d'attraper le coronavirus ont entraîné une chute sans précédent du nombre de passagers dans un secteur qui a transporté 4,5 milliards de personnes en 2019. Alan Joyce, PDG de Qantas, déclare que l'Australie devra gérer les risques liés au coronavirus."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40697792", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-40948968", "doc1": "প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট মায়ের ফোন কলটি খুব তাড়াতাড়িই রেখে দিয়েছিলেন তারা। প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স তখন ছিল ১৫ বছর আর প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল ১২ বছর। প্রিন্সেস ডায়ানার বিশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে সেখানে নিজের মাকে নিয়ে কথা বলেছেন উইলিয়াম ও হ্যারি। প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, \"সেদিন এত তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে দিয়েছিলাম যে তা মনে করে সারাজীবন আমার আফসোস হবে\"। প্রিন্সেস ডায়ানা যে কতটা মজার মানুষ ছিলেন এবং সন্তান বড় করার প্রক্রিয়া যে তার আলাদা ছিল 'মজার' ছিল সেই কথাগুলোই প্রামাণ্যচিত্রে বর্ণনা করেছেন তাঁর দুই ছেলে। উইলিয়াম ও হ্যারি বলেছেন, তাঁদের মা যেমন তাদের 'দুষ্টুমি' করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন তেমনি কিভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায় সে শিক্ষাও তিনি দিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারি বলেছেন তাঁর মা ছিলেন 'পুরোদমে একজন শিশু', যিনি রাজপ্রাসাদের বাইরের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানতেন। মা ও ছেলের যেসব ছবি আগে কখনো প্রকাশ হয়নি তা এই প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যাবে। প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে শৈশব কেমন কেটেছে তা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম। তারা বলেছেন তাদের জীবন গঠনে তাদের মা-এর প্রভাব কতটা। এই তথ্যচিত্রে প্রিন্সেস ডায়ানার ছবি রয়েছে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে, শিশু কল্যাণ, গৃহহারার মানুষ ও ভূমি মাইনের নিষ���দ্ধকরণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রিন্সেস ডায়ানার যে ভূমিকা তা প্রামাণ্যচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সঙ্গে তাঁর দুই ছেলেও রয়েছেন। ১৯৯৭ সালের ৩১মে আগস্ট গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা। প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন ওই অনুষ্ঠানের অংশ হওয়াটা প্রাথমিকভাবে 'কিছুটা কঠিন' হলেও 'মায়ের মৃত্যুর কষ্ট ভুলে যাবার একটা প্রক্রিয়া'ও ছিল সেটি। তিনি বলেছেন \"মায়ের কাজ আর আমাদের ওপর তাঁর যে প্রভাব সেটা প্রকাশের অন্যতম একটা উপায় এটি\"। তবে ডিউক অব ক্যামব্রিজ বলেছেন মায়ের মৃত্যুর আগে ফোনে তাদের শেষ যে আলাপ হয়েছিল তা 'সারাজীবন মনের মধ্যে বয়ে বেড়াতে হবে'। প্রিন্স উইলিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্সেস ডায়ানা যখন এই ছবিটি তুলেন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। \"বিশ্বাস করো বা নাই করো, এই ছবিটিতে তুমি আমার সঙ্গে আছো\"- অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারিকে বলেন ডিউক অব ক্যামব্রিজ। সেদিন তারা ছিলেন স্কটল্যান্ডে রানীর বাড়ি বালমোরালে, চাচাতো ভাইবোনদের সাথে খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। \" হ্যারি এবং আমি ফোন রাখার জন্য খুব ব্যস্ত ছিলাম এবং খুব তাড়াতাড়ি 'বিদায়, পরে দেখা হবে' বলে ফোনটা রেখে দিলাম....যদি আমি যদি জানতাম এরপর কী ঘটতে যাচ্ছে, ওভাবে ফোনটা রেখে দিতাম না\"- বলেন প্রিন্স উইলিয়াম। সাক্ষাৎকারে প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন, সেদিন সেই শেষ ফোনালাপে তাঁর মা কী বলেছিলেন এখনো সেটা মনে আছে-তবে সেই কথার বিস্তারিত তিনি জানাননি। প্রিন্স হ্যারি বলেন , \"প্যারিস থেকে কল করেছিলেন মা। কী বলেছিলেন মনে নেই। কিন্তু ফোন কলটি এতই সংক্ষিপ্ত ছিল যে তার জন্য সারাজীবন আমি অনুশোচনা করবো\"। আইটিভি'র ওই ডকুমেন্টারিতে দুই প্রিন্সকে দেখা যায় মায়ের সঙ্গে তাদের অপ্রকাশিত ছবির অ্যালবামগুলো দেখছেন। মায়ের স্মৃতিচারণ করে প্রিন্স হ্যারি বলেন, \"আমার মা ছিলেন ভেতর ও বাইরে শিশুর মতো\"। \"যখন কেউ আমাকে বলে, 'তোমাদের মা মজার মানুষ ছিল, একটা উদাহরণ দাওতো' তখনই আমার মাথায় তার হাসির শব্দ শুধু বাজে আর বাজে। আমার মা বলতেন, তোমরা যত ইচ্ছে দুষ্টুমি করতে পারো শুধু চেষ্টা করবে যেন দুষ্টুমি ধরা না পড়ে\"। \"আমার মা ছিলেন দুষ্টুমি ভরা অভিভাবকদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা যখন ফুটবল খেলতাম সে সময় তিনি এসে দেখতেন এবং লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের মোজার মধ্যে মিষ্টি ���িতেন\"। ওই অনুষ্ঠানে যেসব ছবি দেখানো হয়েছে সেগুলো প্রিন্সেস ডায়ানার ব্যক্তিগত অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে। প্রিন্স উইলিয়াম বলে, \"মা খুব সাধারণ ছিলেন এবং হাসি-ঠাট্টা-দুষ্টুমিতে মেতে থাকতেই তিনি বেশি পছন্দ করতেন। রাজপ্রাসাদের বাইরের জীবনটাকেও তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন, তিনি এক ধরনের 'জোকার' ছিলেন\"। প্রিন্স উইলিয়াম মনে করেন বেঁচে থাকলে প্রিন্সেস ডায়ানা চমৎকার ও আমুদে একজন দাদী হতেন, বাচ্চাদের কাছে সবসময় দাদীর গল্প করে তাঁর স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন বলে জানান তিনি। প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির কাছে ডায়ানা হলেন \"পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা\"। প্রিন্স হ্যারির বয়স এখন ৩২ ও প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স ৩৫, তারা বলেছেন তাদের মা ডায়ানা ছিলেন 'শ্রেষ্ঠ মা'।", "doc2": "Diana Spencer est morte à 36 ans dans un accident de voiture à Paris, le 31 août 1997, après une course-poursuite avec des paparazzis. Diana Spencer est morte à 36 ans dans un accident de voiture à Paris, le 31 août 1997, après une course-poursuite avec des paparazzis. Vingt ans après ce décès, ses enfants ont éprouvé le besoin de briser des années de silence. C'est la première fois que les deux Princes britanniques évoquent à cœur ouvert la mémoire de leur mère. Ils étaient âgés de 15 et 12 ans au moment du drame. C'est la première fois que les deux Princes britanniques évoquent à cœur ouvert la mémoire de leur mère. \"Vingt ans après, Harry et moi sentions que c'était le bon moment pour nous ouvrir un peu plus au sujet de notre mère. Nous ne parlerons plus d'elle d'une manière aussi ouverte ou publique \", a expliqué William dans cette retransmission de 90 minutes intitulée \"Diana, notre mère, sa vie et son héritage\". \"C'est la toute première fois que nous parlons tous les deux d'elle en tant que mère\", a confié le cadet, ajoutant que la blessure était encore \"vive\". Les deux frères militent pour des causes humanitaires comme le faisait leur mère."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46262029", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-39514876", "doc1": "বইটিতে সমকামী পুরুষের যৌন আচরণের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই লেখকের নাম লিউ। তবে তিনি পরিচিত তিয়ান ই নামে। তার লেখা বইটির শিরোনাম \"অকিউপেশন।\" আনহুই প্রদেশের একটি আদালত গত মাসে তাকে এই সাজা দিয়েছে গ্রন্থে \"অশ্লীল দৃশ্য\" রাখার কারণে। আদালত বলছে, \"উপন্যাসটিতে পুরুষদের সমকামী আচরণ তুলে ধরা হয়েছে... যার মধ্যে রয়েছে বিকৃত যৌন আচরণ যেমন বলাৎকার এবং গালিগালাজ।\" কিন্তু তাকে এতো দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অনেকেই আদালতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছেন। চীনা সংবাদ মাধ্যম বেইজিং নিউজ বলছে, লেখিকা লিউ এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছেন। চীনে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ। \"বাড়াবাড়ি হয়েছে\" লিউকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৩১শে অক্টোবর। পিপলস কোর্ট তাকে এই সাজা দিয়েছে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে \"অশাল��ন বিষয়\" তৈরি ও বিক্রি করার দায়ে। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত জানা যেতে শুরু করে এ-সপ্তাহেই। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর এনিয়ে জানাজানি হয়, বিশেষ করে সোশাল মিডিয়াতে এর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে। বইটি অনলাইনে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করলে প্রথমে পুলিশকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয়। আরো পড়তে পারেন: ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর 'রাস্তায় বের হবার আগে থেকেই পানি খাই না' তাজমহলে পুজা এবং নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, লিউ অনলাইনে সাত হাজারেরও বেশি বই বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি আরো কিছু যৌন উদ্দীপনামূলক বই বিক্রি করে আয় করেছেন দেড় লাখ ইউয়ান। সোশাল মিডিয়াতে অনেকেই বলছেন, লিউকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটা খুব বেশি বাড়াবাড়ি। ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, \"একটা উপন্যাস লেখার কারণে ১০ বছরের জেল! এটা তো বাড়াবাড়ি হয়ে গেল!\" আরেকজন ২০১৩ সালে চার বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছেন, তখন তো ধর্ষণকারীর মাত্র আট বছরের সাজা হয়েছিল! \"ধর্ষণের দায়ে যিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন তার সাজা হলো ১০ বছরেরও কম। আর নারী এই লেখককে দেওয়া হলো ১০ বছর!\" লিখেছেন অন্য আরেকজন।", "doc2": "Pour dix 10 carabines à air comprimé tirant d'inoffensives balles en plastique, la peine de dix ans de prison a été jugée lourde. Ce verdict a été largement critiqué sur Internet. Pour dix 10 carabines à air comprimé tirant d'inoffensives balles en plastique, la peine de dix ans de prison a été jugée lourde. Selon le site sina.com, Zhang Huixue, 27 ans, a commencé à purger sa peine le 28 mars après le rejet de son appel par la plus haute cour de la province du Liaoning (nord-est). Le jeune homme était devenu \"trafiquant d'armes\" par hasard après avoir gagné une carabine en plastique dans une fête foraine de la grande ville de Dalian en 2015, raconte le site. Après s'être affiché avec son \"arme\" sur les réseaux sociaux, il avait reçu plusieurs commentaires d'amis lui demandant de leur procurer un jouet similaire. Zhang Huixue en avait d'abord vendu deux, pour 1.610 yuans (220 euros), avant d'en écouler huit autres pour un montant non précisé, puis d'être arrêté par la police et condamné en première instance en juin 2016."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40797405", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-40790713", "doc1": "জর্ডন সহ অল্প কিছু দেশে এখনো এরকম আইন আছে জর্ডানের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ৩০৮ ধারা নামের ওই বিতর্কিত আইনটি বাতিলের পক্ষে ভোট দেয়। তবে এটা কার্যকর হবার আগে এর পক্ষে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ এবং বাদশার অনুমোদন লাগবে। মানবাধিকার ও নারী অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই এ আইনটি বাতিলের জন্য আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু এর পক্ষের লোকেরা বলছিলেন, এর ফলে নারীদেরকে সামাজিক দুর্নামের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতো। এ আইনে ছিল যে ধর্ষ��ের শিকারকে ধর্ষণকারী বিয়ে করলে মামলা তুলে নেয়া যেতো । তিন বছরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে না, এমন বিধানও ছিল। আইনটি বাতিল হওয়ার প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হওয়ায় নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলো আনন্দ প্রকাশ করেছে। তারা একে নারী আন্দোলনের বিজয় বলে আখ্যায়িত করেন। জর্ডান ছিল এমন অল্প কয়েকটি দেশের একটি যাতে এ ধরণের আইন রয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে তিউনিসিয়া ধর্ষণ সংক্রান্ত এ ধরণের আইন বাতিল করেছে। লেবাননেও এ রকম একটি আইন সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার যেসব দেশে এরকম আইন আছে সেগুলো হলো আলজেরিয়া, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ও সিরিয়া, এবং ফিলিস্তিন। এ তথ্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচের। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আমরা শত্রু নই: উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র 'আমার দেয়া ছাগল মারা যায় নি. মানহানিও হয়নি' আমেরিকার স্কুলে ধর্মগ্রন্থ পড়া বন্ধ হয়েছিল যে মামলায়", "doc2": "L'agence de presse officielle Petra a rapporté que cette mesure a été prise dans le cadre du projet d'amendement du code pénal 2017 adopté par le Parlement. L'agence de presse officielle Petra a rapporté que cette mesure a été prise dans le cadre du projet d'amendement du code pénal 2017 adopté par le Parlement. L'article 308 avait pour but d'aider les prisonniers à échapper à la prison. Les organisations de défense des droits de l'homme ont aussitôt salué l'abolition de l'article comme une victoire pour toutes les victimes de viol. LIRE AUSSI Une peinture de Zuma violant Mandela fait polémique Lady Gaga souffre d'un traumatisme Des culottes sales pour lutter contre le viol C'est le résultat de plusieurs années d'efforts, selon ces organisations. En 2016, plus de 160 cas de viol ont été recensés dans le royaume en 2016, selon des chiffres officiels."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47412690", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47414542", "doc1": "হামজা বিন লাদেনের অবস্থান এখনো অজানা মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হামজা বিন লাদেন নামে ওসামা বিন লাদেনের এই ছেলে আল কায়েদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তার অবস্থান রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিবিসি নিউজ অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হামজা বিন লাদেন আল কায়েদার অনুসারীদের জন্য কিছু অডিও এবং ভিডিও প্রচার করেছেন। এসব অডিও এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আমেরিকা এবং তাদের পশ্চিমা বন্ধুদের উপর আক্রমণের আহবান জানিয়েছেন হামজা বিন লাদেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: আলোচনার কেন্দ্রে যে পাইলট বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের সূচনা যে বোমা হামলায় ২০১১ সালে মার্কিন বিশেষ বাহিনী পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। ২০০১ সাল��র ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন। ওই হামলায় প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিল। হামজা বিন লাদেন সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? ধারণা করা হচ্ছে, হামজা বিন লাদেনের বয়স ৩০ বছর। দুই বছর আগে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকা যে ডকুমেন্ট তৈরি করেছে, সেখানে হামজা বিন লাদেনের নাম উল্লেখ রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, হামজা বিন লাদেন যাকে বিয়ে করেছেন, তিনি মোহাম্মদ আত্তার মেয়ে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সময় যে চারটি বিমান ছিনতাই করা হয়েছিল, সেগুলোর একটি ছিনতাই করেছিলেন এই মোহাম্মদ আত্তা। মোহাম্মদ আত্তার ছিনতাই করা বিমানটি নিউইয়র্কে অবস্থিত টুইন টাওয়ারের একটি ভবনে আঘাত করেছিল। ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর অ্যাবোটাবাদ কম্পাউন্ড থেকে তার যেসব চিঠিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল যে হামজা বিন লাদেনকে তার পিতা ওসামা বিন লাদেন উত্তরসূরি হিসেব তৈরি করছিলেন। এই সন্তান ওসামা বিন লাদেনের খুব প্রিয় ছিল এবং ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার নেতা হিসেবে তাকেই ভাবা হচ্ছিল। ধারণা করা হয়, হামজা বিন লাদেন তার মায়ের সঙ্গে ইরানে অনেক বছর কাটিয়েছেন এবং সেখানেই তার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তিনি পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় বসবাস করেছেন। \"আমরা বিশ্বাস করি তিনি সম্ভবত পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রয়েছেন এবং সীমান্ত পেরিয়ে ইরানে প্রবেশ করবেন। কিন্তু তিনি মধ্য এশিয়ার যে কোন জায়গায়ও থাকতে পারেন,\" বলছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের সরকারী মন্ত্রী মাইকেল ইভানফ। আল-কায়েদা সম্পর্কে মৌলিক তথ্য ২০০১ সালে কাবুলের কাছে ওসামা বিন লাদেন হামজা বিন লাদেনের অবস্থান এখনো অজানা আল-কায়েদার কী হলো? ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তালেবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয়। এ সময় তালেবানরা ওসামা বিন লাদেন এবং তার সংগঠনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জায়গা করে দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর আবির্ভাবের পর আল-কায়েদা অনেকটা ম্রিয়মাণ হয়ে যায়। ইসলামিক স্টেট বিশ্বজুড়ে নজর কাড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু হামলা চালায়। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মার্কিন সমন্বয়ক নে��ান সেলস বলেন, \"এ সময়ের মধ্যে আল-কায়েদা তুলনামূলকভাবে নীরব হয়ে যায়। কিন্তু এটা তাদের কৌশলগত বিরতি, তারা আত্মসমর্পন করেনি।\" \"বর্তমানে আল-কায়েদা স্থির নয়। এরা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবে রয়েছে। আমাদেরকে আঘাত করার মতো সামর্থ্য এবং ইচ্ছা - দু'টোই রয়েছে আল-কায়েদার।\" বিবিসি বাংলায় আরও খবর: 'বেশি টিভি দেখলে স্মৃতিভ্রংশ হয়' সাতজন অন্ধ ব্যক্তির পর্বত জয়ের গল্প", "doc2": "Les services de renseignement ne savent pas où se trouve Hamza Ben Laden Hamza Ben Laden est en train de devenir un leader du groupe militant islamiste, selon les autorités et celui-ci aurait pour base une zone à la lisière de la frontière entre l'Afghanistan et le Pakistan. Ces dernières années, il a publié des messages audio et vidéo appelant ses partisans à attaquer les Etats-Unis et leurs alliés occidentaux pour se venger du meurtre de son père. En 2011, les forces spéciales américaines ont tué Oussama Ben Laden dans un complexe à Abbottabad, au Pakistan. Il ordonné et approuvé les attaques contre les Etats-Unis le 11 septembre 2001, qui ont fait près de 3.000 morts. Que sait-on d'Hamza Ben Laden ? Les services de renseignement estiment à 30 ans l'âge d'Hamza Ben Laden. Il a été officiellement désigné par les États-Unis comme un terroriste ayant une envergure mondiale, il y a deux ans. Le département d'État américain affirme qu'il a épousé la fille de Mohammed Atta, qui a détourné l'un des quatre avions commerciaux utilisés lors des attentats de 2001, et l'a écrasé sur l'une des tours du World Trade Center à New York. Des lettres d'Oussama Ben Laden saisies dans son QG indiquaient qu'il avait préparé Hamza, considéré comme son fils préféré, pour le remplacer comme chef d'Al-Qaïda. Hamza Ben Laden aurait passé des années avec sa mère en Iran, où l'on pense que son mariage a eu lieu, alors que d'autres rapports suggèrent qu'il aurait vécu au Pakistan, en Afghanistan ou en Syrie. \"Nous pensons qu'il est probablement à la frontière entre l'Afghanistan et le Pakistan et...il va passer en Iran. Mais il pourrait être n'importe où en... Asie centrale méridionale\", a déclaré le secrétaire adjoint à la sécurité diplomatique, Michael Evanoff. A lire aussi USA : un fils Ben Laden sur la liste noire Hamza ben Laden veut étendre le jihad USA: Le tueur de Ben Laden veut parler Souvenir des attentats de Nairobi et de Dar es Salam La menace Al-Qaïda toujours présente Analyse de Frank Gardner, journaliste en sécurité (BBC) Les responsables américains de la lutte contre le terrorisme craignent de plus en plus que Hamza Ben Laden ne devienne un leader charismatique d'un Al-Qaïda revitalisé. Après l'assassinat du père de Hamza, Oussama, par les commandos de la marine américaine au Pakistan en 2011, Al-Qaïda a été largement éclipsé par son rival encore plus fanatique, le groupe étatique islamique (IS). Al-Qaïda est aujourd'hui dirigé par Ayman al-Zawahiri un stratège égyptien ennuyeux et à lunettes qui n'a pas su inspirer \"la base\". Mais les services de renseignements occidentaux, dont le chef du MI6 Alex Younger, avertissent qu'Al-Qaïda n'a pas disparu. Le groupe islamiste s'est servi de sa récente discrétion pour se reconstruire et se réorganiser, planifiant d'autres attaques contre l'Occident et ses gouvernements alliés au Moyen-Orient et en Afrique. Al-Qaïda a toujours dit que c'était une erreur pour l'Etat Islamique de déclarer un califat physique qui pourrait ensuite être attaqué par une coalition dirigée par les États-Unis. Ils ont eu raison et les deux organisations présentent aujourd'hui une menace permanente notamment à travers des attentats terroristes. Aux origines de \"la Base\" Osama Bin Laden near Kabul in 2001 Le groupe terroriste est apparu en Afghanistan à la fin des années 1980, lorsque des volontaires arabes se sont joints aux moudjahidin afghans - soutenus par les États-Unis - qui luttaient pour expulser les forces d'occupation soviétiques. Oussama Ben Laden a mis sur pied une organisation pour aider les volontaires, qui est devenue au fil du temps Al-Qaïda, traduit de l'arabe \"la base\". Il a quitté l'Afghanistan en 1989 et est revenu en 1996 pour diriger des camps d'entraînement militaire pour des milliers de musulmans étrangers. Al-Qaïda a déclaré la \"guerre sainte\" aux Américains, aux Juifs et à leurs alliés. A lire aussi Ben Laden est mort désarmé Ben Laden trahi par son médecin Procès du gendre de Ben Laden Qu'est-il arrivé à Al-Qaïda ? La guerre menée par les États-Unis en Afghanistan après les attaques de 2001 a renversé le régime taliban qui avait donné asile à Oussama Ben Laden et à son groupe. Ces dernières années, Al-Qaïda a été éclipsé par le groupe de l'État islamique qui a attiré l'attention et les efforts mondiaux de lutte contre le terrorisme. Des combattants et des fonds du monde entier ont servi la cause d'un djihad contre les occidentaux et leurs alliés. \"Al-Qaïda pendant cette période a été relativement calme, mais il s'agit d'une pause stratégique, pas d'une capitulation\", a déclaré le coordinateur américain de la lutte contre le terrorisme Nathan Sales. \"Al-Qaïda d'aujourd'hui n'est pas stagnant. Il se reconstruit et continue de menacer les États-Unis et leurs alliés..... Ne vous méprenez pas, Al-Qaïda conserve à la fois la capacité et l'intention de nous frapper.\""} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47894271", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-47910901", "doc1": "সেনা অভ্যুত্থানের পর খার্তুমে জনতার উল্লাস। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার টিভিতে এক ঘোষণায় বলেছেন, একটি সামরিক কাউন্সিল দু''বছর মেয়াদের এক অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনা করবে এবং তার পর নতুন সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই মি. বশিরের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ চলছিল এবং এসময় সহিংসতায় বেশি কিছু লোক নিহত হয়েছে। উনিশশো উননব্বই সালে ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির আরো কিছু ইসলামপন্থী সেনাকর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সুদানের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেন। তিনিই হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাকে উৎখাতের চেষ্টা এর আগেও হয়েছে - তবে তা সফল হয় নি। ওমর আল বশির ১৯৮৯ সাল থেকে সুদানের ক্ষমতায় ছিলেন। আরও পড়তে পারেন: যেভাবে সুদানের ৩০ বছরের শাসকের উত্থান ও পতন নুসরাত জাহান: যে মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সবাইকে জুলিয়ান আসঞ্জ: সত্যানুসন্ধানী, নাকি প্রচারকামী? গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয় - তা প্রথমে ছিল দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে। তবে ধীরে ধীরে তা মি. বশিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পরিণত হয়। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আওয়াদ ইবনে আউফ টিভিতে বলেন, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং জনগণ গরিব থেকে আরো গরিব হয়ে পড়ছিল। এই বিক্ষোভে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। জেনারেল ইবনে আউফ বলেন, ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একটি সামরিক কাউন্সিল দু'বছরব্যাপী অন্তর্বতী প্রশাসন চালাবে, এবং তার পর নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। এ ছাড়া এক মাসব্যাপী কারফিউ এবং সব সীমান্ত বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করা হ��়। বলা হচ্ছে, ৭৫ বছর-বয়স্ক মি. বশিরকে গ্রেফতার করে গোপন স্থানে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টারের খবরে বলা হচ্ছে, খার্তুমের বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি গ্রুপ বলছে, অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা তারা প্রত্যাখ্যান করছে, কারণ তারা বেসামরিক লোকদের দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার চায়, সামরিক বাহিনীর লোকদের নয়।", "doc2": "L'armée qui avait annoncé qu'elle supervisera une période de transition de deux ans suivie d'élections, a déclaré ce matin par le biais du général de corps d'armée, Omar al Abidin, que les militaires céderaient le pouvoir dans un mois. . Le président el-Béchir lui-même a pris le pouvoir à la suite d'un coup d'État militaire en 1989 et, auparavant, il y avait eu de nombreuses autres tentatives de coup d'État au Soudan, certaines réussies et d'autres non. Lire aussi: Burkina Faso : ouverture du procès du putsch de 2015 Zimbabwe: l'armée dément un coup d'état Coup d'État au Soudan : comment on en est arrivé là Le Soudan a connu plus de tentatives de coup d'Etat que tout autre pays en Afrique. Si l'on tient compte de cette récente intervention, il y en a eu 15, dont quatre ont été couronnées de succès. Si l'armée réussit dans son ambition d'évincer définitivement Omar al-Bashir, ce sera la cinquième. Capture d'écran du général Awad Ibn Auf, premier vice-président et ministre soudanais de la défense. Quand parle-t-on d'un coup d'État ? Depuis les années 1950, il y a eu un total de 206 tentatives de coups d'État en Afrique, selon un ensemble de données compilées par deux politologues américains, Jonathan Powell et Clayton Thyne. Leur définition d'un coup d'État est qu'il s'agit de tentatives illégales et flagrantes de la part des militaires ou d'autres responsables civils de l'État de renverser les dirigeants en place. Cependant, la définition du coup d'État est souvent contestée et, par le passé, les chefs militaires ont nié les avoir dirigés. Lire aussi: Guinée équatoriale: 42 militants du parti au pouvoir expulsés Diendéré \"commanditaire\" du coup d'Etat au Burkina Faso Zimbabwe : Fortes explosions entendues à Harare Prenons, par exemple, le Zimbabwe en 2017, les militaires ont organisé une prise de pouvoir pour mettre fin aux 37 ans de pouvoir de Robert Mugabe. À l'époque, un haut responsable militaire, le major-général Sibusiso Moyo, est allé à la télévision pour nier catégoriquement qu'il s'agissait d'une prise de pouvoir militaire. \"Les dirigeants de coup d'État nient presque invariablement qu'il s'agit bien d'un coup d'État pour simplement donner l'impression d'être légitime \", affirme M. Powell. Il y a eu des célébrations après l'intervention de l'armée zimbabwéenne contre le président Mugabe en 2017. Powell et Thyne considèrent un coup réussi comme celui qui a duré plus de sept jours. Si l'on exclut le dernier en date au Soudan, il y a eu 105 coups d'État ratés en Afrique et 100 réussis. Le Burkina Faso, en Afrique de l'Ouest, a eu les coups d'Etat les plus réussis, avec un nombre de sept. Lire aussi: Putsch manqué au Burkina : 84 accusés à la barre le 06 avril La Guinée victime du putsch en Turquie Guinée équatoriale: affrontements mortels entre \"mercenaires\" et armée L'Afrique connait-il moins de prises de pouvoir militaires ? L'Afrique a certainement connu un nombre élevé de prises de pouvoir militaires, mais cette façon particulière de forcer le changement est, en fait, en déclin. Au cours des quatre décennies écoulées entre 1960 et 2000, le nombre de tentatives de coup d'État est resté remarquablement stable, aux alentours de 40 par décennie. Depuis, il y a eu un déclin important. Dans les années 2000, il y a eu 22 tentatives, et dans la décennie actuelle, ce nombre est maintenant de 17. Un soldat burkinabé tenant une roquette et son chargeur lors de la crise de septembre 2015. Jonathan Powell dit que ce n'est pas surprenant étant donné l'instabilité que les pays africains ont connue dans les années qui ont suivi les indépendances. \"Les pays africains ont eu les mêmes conditions pour les coups d'État, comme la pauvreté et les mauvaises performances économiques. Quand un pays subit un coup d'Etat, c'est souvent le signe avant-coureur d'autres coups d'Etat.\" Et historiquement, dans les pays africains, les militaires ont généralement joué un rôle plus actif dans les transitions de pouvoir, les questions intérieures et la sécurité. Lire aussi: Burkina: les putschistes de 2015 jugés mardi Burkina Faso : ouverture du procès du putsch de 2015 Situation dans le reste du monde Globalement, le nombre total de tentatives de coup d'Etat depuis 1952 s'élève à 476. L'Afrique a connu plus de coups d'État que tout autre continent. Vient ensuite l'Amérique du Sud, qui a connu 95 tentatives de coup d'État, dont 40 ont été couronnées de succès. Une manifestation au Venezuela contre une tentative de renversement de feu le Président Chavez. Au cours des deux dernières décennies, le nombre de tentatives de coup d'État en Amérique du Sud a diminué. La dernière s'est déroulée au Venezuela en 2002, contre le président Hugo Chavez - qui s'était soldé par un échec. Selon M. Powell, la fin de la dynamique de la guerre froide, qui a vu les États-Unis et l'Union soviétique s'ingérer dans les affaires latino-américaines, ainsi que la volonté de la communauté internationale de sanctionner les pays qui, comme Haïti en 1994, ont connu des coups d'État, ont entraîné le déclin des putchs militaires. Lire aussi: Sankara: \"aucun profil génétique sur les restes\" Au Niger, la famille de l'ex-président Maïnassara réclame justice Pour en savoir plus, lisez Reality Check Envoyez-nous vos questions Suivez-nous sur Twitter"} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57219179", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-57300354", "doc1": "মাত্র তিন বছরের কিছু বেশি সময়ে সাইপ্রাসকে ম্যালেরিয়া-মুক্ত করেছিলেন মেহমেত আাজজ কিন্তু তবু অল্প কিছু সাইপ্রিয়ট ছাড়া আর বিশেষ কেউই তার নাম শোনেনি। আজিজ ছিলেন একজন তুর্কী সাইপ্রিয়ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সে সময় সাইপ্রাসে প্রতি বছরই ম্যালেরিয়া হতো। কিন্তু মেহমেত আজিজ বিশ্বে প্রথমবারের মত একটি ম্যালেরিয়া-প্রবণ দেশ থেকে এই রোগটি সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পেরেছিলেন। তার সহকর্মীরা তাকে ডাকতেন \"দ্য ফ্লাই ম্যান\" বলে। সেসময়কার নোবেল পুরস্কারজয়ী ম্যালেরিয়া বিশেষজ্ঞ স্যার রোনাল্ড রসের কাছে অধ্যয়ন করেছিলেন এই মেহমেত আজিজ। এ্যানোফিলিস নামে বিশেষ এক ধরনের মশার মাধ্যমেই যে ম্যালেরিয়া ছড়ায় তা প্রথম প্রমাণ করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস। মেহমেত আজিজের কথা আমি প্রথম জানতে পারি ঔপনিবেশিক যুগের সাইপ্রাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে। স্যার রোনাল্ড রস সেটা ১৯৩৬ সালের কথা। সাইপ্রাস তখন ছিল একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ। দেশটিতে তখন ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিল ব্যাপক। প্রতি বছর প্রায় ১৮ হাজার লোক ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতো। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া ছিল খুবই মারাত্মক এক ব্যাধি। সাইপ্রাসের একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেছেন, তার শৈশবে \"বহু শিশু ম্যালেরিয়ায় মারা যেতো। যারা বেঁচে যেতো, তারাও এত দুর্বল হয়ে পড়তো যে একদিনের জন্যও তারা কোন কাজ করতে পারতো না।\" সামরিক বাহিনীর স্টাইলে লড়াই এর প্রায় ১০ বছর পরের কথা। মেহমেত আজিজ তখন সাইপ্রাসের প্রধান স্বাস্থ্য পরিদর্শক। তিনি একটা আর্থিক অনুদান পেলেন ঔপনিবেশিক উন্নয়ন তহবিল বা সিডিএফ থেকে। এর লক্ষ্য সাইপ্রাস থেকে এ্যানোফিলিস মশা নির্মূল করা - যা ম্যালেরিয়া রোগের বাহক। তিনি তার অভিযানের পরিকল্পনা করলেন সামরিক কায়দায়। সাইপ্রাসে ছোট ছোট গ্রিডে ভাগ করে মৗালেরিয়া নির্মূল অভিযান চালান মেহমেত আজিজ পুরো সাইপ্রাস দ্বীপটিকে তিনি ৫০০ এলাকায় ভাগ করলেন - যার নাম দেয়া হলো গ্রিড। প্রতিটি গ্রিডের আয়তন ছিল এমন - যেখানে ১২ দিনের মধ্যে মশা নির্মূলের কাজটা করতে পারে মাত্র একজন লোক । এই পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে মাঠে নামলো মেহমেত আজিজের দল । প্রতিটি গ্রিডে প্রতি বর্গমিটার এলাকা তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করলেন সেই গ্রিডের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক। যেখানেই তিনি দেখলেন পানি জমে আছে - সেখানেই তিনি ছড়িয়ে দিলেন ডিডিটি নামে মশা ধ্বংসকারী রাসায়নিক। এমনকি পানীয় জলের উৎসও বাদ পড়লো না। এই ডিডিটির ব্যবহার যাতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায় - তারও একটা উপায় উদ্ভাবন করলেন আজিজের দল। তারা এমনভাবে জমে থাকা পানির ওপর ডিডিটি ছড়ালেন - যেন পানির ওপর অতি পাতলা পেট্রোলিয়ামের একটি স্তর তৈরি হয় - যার ফলে মশার ডিম ফুটতে না পারে। ১৯৪৮ সালের জুন মাসে সাইপ্রাস রিভিউ পত্রিকায় এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে - প্রতিটি গ্রিডে প্রত্যেকটি জলাশয়, নদী এবং জলাবদ্ধতা-তৈরি-হয়েছে-এমন-এলাকায় পানির ওপর কীটনাশক ছড়িয়ে দেয়া হলো। এমন গরু-ঘোড়া-ছাগলের মত প্রাণীর খুরের চাপে তৈরি হওয়া গর্তগুলোর ওপরও দেয়া হলো কীটনাশক। আজিজের লোকেরা জলাভূমিতে নামলেন, দড়িতে ঝুলে গুহার ভেতর ঢুকলেন। কোন জায়গাই তাদের কাজের আওতার বাইরে রইলো না। কীটনাশক ছড়ানো জায়গাগুলো প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা করে দেখা হতো - সেখানে আবার মশার শূককীট জন্মাচ্ছে কিনা। দরকার হলে সেখানে আবার কীটনাশক ছিটানো হতো। যতদিন এই অভিযান চলেছিল - ততদিন কোন \"অপরিষ্কার\" এলাকা থেকে কোন যানবাহন \"পরিষ্কার\" এলাকায় ঢুকলে সেই যানবাহনগুলোর ওপরও কীটনাশক প্রয়োগ করা হতো। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর ভূমধ্যসাগরে যে কারণে চলছে গ্রিস-তুরস্ক দ্বন্দ্ব রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান: রুটি বিক্রেতা থেকে যুদ্ধংদেহী তুর্কী প্রেসিডেন্ট ম্যালেরিয়া কিভাবে প্রাণঘাতী হয়ে উঠলো? ম্যালেরিয়া কী? মানবদেহে ম্যালেরিয়া তৈরি হয় প্লাজমোডিয়াম নামে একরকম পরজীবী থেকে। এটা স্ত্রী জাতীয় এ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ��ড়ায়। এই মশা যখন মানুষের রক্ত পান করার জন্য কাউকে কামড়ায়, তখনই এই পরজীবী জীবাণু এক দেহ থেকে আরেক দেহে ছড়ায়। ম্যালেরিয়া এমন একটি রোগ যা প্রতিরোধ করা সম্ভব, সারানোও সম্ভব। এ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঘটলে মানুষের দেহে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়। প্লাজমোডিয়াম পরজীবী জীবাণু মানুষের যকৃত এবং রক্তের লোহিত কণিকা সংক্রমিত করে। পরে মস্তিষ্কসহ সারা দেহেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে - এবং তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে ২২ কোটি ৯০ লাখ লোক ম্যালেরিয়ায় সংক্রমিত হন, এবং তার মধ্যে আনুমানিক ৪০৯,০০০ জন মারা যান - যার দুই তৃতীয়াংশই শিশু। মশার কলোনির সন্ধান সাইপ্রাসে এ্যানোফিলিস মশার আবাসস্থলের সন্ধান চলেছিল তিন বছর ধরে। মেহমেত আজিজের মেয়ে তুরকানের মনে আছে তার পিতার স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ইউনিফর্ম। সেটা ছিল পুরোদস্তুর সামরিক কায়দার ইউনিফর্ম। তার মনে আছে, ছোটবেলায় পিকনিকে গিয়েও তার বাবা শুকিয়ে যাওয়া নদীর পার ধরে হাঁটতেন - পানির ধারার উৎস কোথায় তা বের করতে। আর তার পেছনে পেছনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেতে হতো তুরকানকে। একবার একটি সাইপ্রিয়ট গ্রাম দেখতে গেলেন মেহমেত আজিজ। তার সাথে ছিলেন একজন আমেরিকান ম্যালেরিয়া বিশেষজ্ঞ। সফরের কারণ ছিল - ওই গ্রামটিতে ৭২% শিশুর দেহে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। সেই আমেরিকান বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আজিজ কীভাবে মশার আবাসস্থল খুঁজে বের করতেন। \"ঘরের উঁচু সিলিংএ মশার সন্ধান করতে মই খুঁজে বের করার কাজে আজিজ ছিলেন খুবই দক্ষ। এভাবেই শেষপর্যন্ত গ্রামের একটি স্নানঘরের ভেজা দেয়ালের মধ্যে তিনি মশার একটি ঝাঁক আবিষ্কার করে ফেললেন।\" তিন বছরের কিছু বেশি সময় পর - ১৯৫০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাইপ্রাস পৃথিবীর প্রথম ম্যালেরিয়া-মুক্ত দেশে পরিণত হয়। বীরের সম্মান দেবার পরও কেন লোকে তাকে ভুলে গেল লন্ডন নিউজ ক্রনিকল অনেক প্রশংসা করে মেহমেত আজিজকে নাম দিয়েছিল \"মহান মুক্তিদাতা\" বা দ্য গ্রেট লিবারেটর। আজিজের গ্রিক ও তুর্কি সাইপ্রিয়ট সহকর্মীদের বর্ণনা করা হলো \"ম্যালেরিয়া-বিরোধী লড়াইয়ে সম্মুখ-সারির যোদ্ধা।\" এম বি ই বা মেম্বার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার খেতাব দিয়ে সম্মানিত করা হলো আজিজকে। ব্রিটেনের উপনিবেশ বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ���্রশংসা করে বললেন, সারা বিশ্বের ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছেন মেহমেত আজিজ। অবসর জীবনে মেহমেত আজিজ, সাথে স্ত্রী হিফসিয়ে ম্যালেরিয়া নির্মূলের মিশন শেষ হবার পরও মেহমেত আজিজ সাইপ্রাসের প্রধান স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি টাইফয়েড ও যক্ষার মত সংক্রামক রোগ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অভিযান চালিয়েছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। কিন্তু এই সাফল্য সত্বেও তার খ্যাতি কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে তার জীবন-কাহিনির সবচেয়ে কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় কিন্তু ম্যালেরিয়া উচ্ছেদে তার সাফল্য নয় - বরং কিভাবে একটি জাতির ইতিহাস থেকে তা পুরোপুরি মুছে দেয়া হলো, সেখানেই। সেই কারণ নিহিত আছে ছোট্ট সাইপ্রাস দ্বীপ কীভাবে এক স্বাধীনতা সংগ্রামের কারণে দু-টুকরো হয়ে গেল - তার মধ্যে। সেই ঘটনাপ্রবাহ সাইপ্রাসের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জনগোষ্ঠীর জন্যই ক্ষতির কারণ হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনেক সাইপ্রিয়টই বীরত্বে সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষ হবার পর ব্রিটেনে যখন লেবার পার্টি নির্বাচনে জিতলো, তখন অনেকেই আশা করেছিলেন সাইপ্রাস এবার ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পাবে। স্বাধীনতা ও বিভক্তি সাইপ্রাসকে বলা হতো ভূমধ্যসাগরে 'ব্রিটেনের বিমানবাহী জাহাজ - যা কখনো ডুববে না।' সাইপ্রাসের দুর্ভাগ্য ছিল এই যে - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অংশগুলোতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় এই দ্বীপটির কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। তাই ব্রিটেন সেখান থেকে যেতে চাইছিল না। মেহমেত আজিজের ম্যালেরিয়া নির্মূলে অভাবনীয় সাফল্যের পাঁচ বছর পর ১৯৫৫ সালে - ব্রিটেনের সাইপ্রাস ছেড়ে যেতে অনিচ্ছার কারণে শুরু হলো সহিংস সংঘাত। শেষ পর্যন্ত ১৯৬০ সালে দ্বীপটি স্বাধীনতা পায়। কিন্তু জাতিগত, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিভেদের কারণে দ্বীপটি ক্রমশঃ বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির মাঝে পড়ে হারিযে যায় মেহমেত আজিজের কাহিনি। ১৯৭৪ সাল থেকে সাইপ্রাস তুর্কী ও গ্রিক - এই দুই অংশে ভাগ হয়ে যায় - যখন গ্রিসের তৎকালীন সামরিক শাসকদের সমর্থনে দ্বীপটিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়, এবং তার জবাবে তুরস্ক অভিযান চালায় সাইপ্রাসে। তখন থেকেই সাইপ্রাসের উত্তরের এক-তৃতীয়াংশে বাস করছে তুর্কি সাইপ্রিয়ট জনগোষ্ঠী, আর দক��ষিণের দুই-তৃতীয়াংশে বাস করছে গ্রিক সাইপ্রিয়টরা। এই বিভক্তির কারণে মেহমেত আজিজের মত কোন ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। মেহমেত আজিজ মারা যান ১৯৯১ সালে ৯৮ বছর বয়সে নিকোশিয়ার উত্তর প্রান্তে। রাষ্ট্রীয় পেনশনের ওপর নির্ভর করেই নিভৃতে তার অবসর জীবন কাটিয়েছিলেন তিনি। কোন সরকারি শেষকৃত্যানুষ্ঠান ছাড়াই তাকে সমাহিত করা হয়। তুর্কি এবং গ্রিক, উভয় সাইপ্রিয়ট জনগোষ্ঠীই যদি ম্যালেরিয়া-দমন অভিযানের এই নেতার স্মৃতিকে আবার জাগিয়ে তুলতে পারতো - হয়তো তাহলে তা হয়ে উঠতো সাইপ্রাসের সবার কাছে বলার মতো আরেকটি গল্প।", "doc2": "Il a fallu un peu plus de trois ans à Mehmet Aziz pour achever sa tâche à Chypre. Aziz était un agent de santé chypriote turc qui a fait en sorte que Chypre devienne le premier pays au monde à éradiquer complètement la malaria. Connu de ses compatriotes comme \"l'homme-mouche\", il avait étudié sous la direction du prix Nobel de médecine Sir Ronald Ross, spécialiste de la malaria, qui avait découvert le type de moustique qui transmettait la maladie. J'ai découvert l'histoire d'Aziz par hasard au cours de mes recherches pour un livre sur la Chypre coloniale britannique. C'est Sir Ronald Ross qui a prouvé que les moustiques transmettaient la malaria. En 1936, Chypre - alors colonie britannique - était connue comme l'un des pays les plus touchés par le paludisme au monde, avec environ 18 000 cas par an. La maladie était particulièrement dévastatrice pour les enfants. Un vieil homme, se souvenant de son enfance, explique que \"beaucoup de jeunes n'ont jamais survécu, d'autres n'étaient pas en état de faire un jour de travail après avoir contracté la maladie\". Une campagne de type militaire contre le paludisme Dix ans plus tard, Aziz, en sa qualité d'inspecteur sanitaire en chef, obtient une subvention du Colonial Development Fund pour éradiquer de Chypre le moustique anophèle vecteur de la malaria. Il planifie sa campagne selon des principes militaires, divisant l'île entière en 500 grilles, chacune pouvant être couverte par un homme en 12 jours. Son équipe a parcouru systématiquement le plan de quadrillage, mètre par mètre, en bombardant de DDT toutes les sources d'eau stagnante (y compris les puits). Cette carte montre l'évolution de la campagne d'éradication en 1946 et 1947. L'équipe d'Aziz a mis au point une technique permettant de minimiser son utilisation, en versant une fine pellicule de pétrole sur les surfaces d'eau pour empêcher l'éclosion des larves de moustiques. Selon la Cyprus Review de juin 1948, \"chaque piscine, chaque cours d'eau et chaque zone de sol gorgé d'eau\" est pulvérisée d'insecticide. Même les empreintes de sabots des animaux étaient traitées. Les hommes d'Aziz pataugent dans les marais et sont descendus dans les grottes à l'aide de cordes. Les zones testées étaient contrôlées chaque semaine pour vérifier la présence de larves de moustiques et, si nécessaire, elles étaient à nouveau pulvérisées. Pendant toute la durée de la campagne, tout le trafic passant des zones \"impures\" aux zones \"propres\" devait être pulvérisé. Qu'est-ce que le paludisme ? Le paludisme est une maladie évitable et curable causée par des parasites Plasmodium, qui se transmettent à l'homme par les piqûres de moustiques femelles à la recherche de sang. Une fois infectées, les personnes deviennent très malades : les parasites infectent les cellules du foie et les globules rouges. La maladie finit par toucher tout le corps, y compris le cerveau, et peut être mortelle. Le paludisme est propagé par des parasites transmis à l'homme par des piqûres de moustiques anophèles femelles infectés. En 2019, on a recensé 229 millions de cas dans le monde et environ 409 000 décès, dont deux tiers d'enfants. Source : Organisation mondiale de la santé. Trois ans de recherche de colonies de moustiques Turkan, la fille d'Aziz, se souvient de l'uniforme officiel d'inspecteur sanitaire de style militaire de son père, avec épaulettes et chevrons. Elle se souvient également des pique-niques d'enfance passés à le suivre dans les lits de rivières asséchées, alors qu'il cherchait inlassablement des sources d'infiltration d'eau. Un spécialiste américain de la malaria a rejoint Aziz lors d'une visite dans un village chypriote où 72 % des enfants présentaient des signes d'infection par le paludisme. Aziz, note-t-il, \"était habile à trouver des échelles et à fouiller les hauts plafonds\" pour trouver des colonies de moustiques, pour finalement en découvrir \"un bon lot sur les murs humides des bains publics du village\". Il a fallu un peu plus de trois ans. En février 1950, Chypre était le premier pays au monde exempt de malaria. Une nouvelle arme est développée par les scientifiques pour combattre le paludisme. Un héros salué et ensuite oublié Aziz lui-même a été salué par le London News Chronicle comme \"le grand libérateur\", tandis que ses collègues chypriotes grecs et turcs étaient décrits comme des \"combattants de première ligne dans la bataille contre la malaria\". Il est décoré de l'Ordre de l'Empire britannique et applaudi par le secrétaire d'État aux Colonies pour avoir gagné \"la renommée des médecins et des scientifiques du monde entier\". Une fois sa mission d'éradication du paludisme achevée, Aziz poursuit sa tâche d'inspecteur sanitaire en chef, mène de nombreuses campagnes d'éducation sanitaire sur les maladies infectieuses telles que la typhoïde et la tuberculose, et donne des conférences dans les universités de la Méditerranée orientale. Mais son succès ne lui a pas assuré une gloire durable. Ce qui rend son histoire particulièrement intéressante, ce n'est pas tant sa réussite remarquable que la manière dont elle a été complètement effacée de l'histoire d'une nation. Mehmet Aziz après sa retraite avec sa femme Hifsiye La raison en est l'histoire d'une petite île déchirée par une vicieuse lutte pour l'indépendance, puis par des luttes intestines. La fin de la Seconde Guerre mondiale (au cours de laquelle de nombreux Chypriotes ont combattu avec courage), ainsi que l'élection d'un gouvernement travailliste au Royaume-Uni, ont fait naître l'espoir que l'île pourrait bientôt se débarrasser de la domination coloniale. De l'indépendance à la division Malheureusement pour Chypre, l'agitation dans d'autres parties du Moyen-Orient a fait que le \"porte-avions insubmersible\" de la Grande-Bretagne est devenu plus important que jamais sur le plan stratégique. Les Britanniques n'allaient pas partir facilement. En 1955, cinq ans après le succès retentissant d'Aziz, la frustration des Chypriotes face à l'intransigeance britannique éclate en une lutte violente. Si l'île a finalement obtenu son indépendance de la Grande-Bretagne en 1960, elle s'est de plus en plus fragmentée selon des critères ethniques, religieux et politiques, et l'histoire de Mehmet Aziz est passée inaperçue. Chypre est divisée depuis 1974, lorsque la Turquie a envahi le nord de l'île en réponse à un coup d'État soutenu par la junte militaire alors au pouvoir en Grèce. Depuis lors, le tiers nord est principalement habité par des Chypriotes turcs et les deux tiers sud par des Chypriotes grecs. Des moustiques génétiquement modifiés pour lutter contre le paludisme Cette division a laissé peu de place à la commémoration - et encore moins à la célébration - d'un personnage comme Mehmet Aziz. Ce héros \" homme-mouche \", qui a mené la campagne anti-malaria de Chypre, est mort à 98 ans en 1991 dans la partie nord de Nicosie, après avoir passé sa retraite à vivre tranquillement de sa pension d'État. Il a été enterré sans cérémonie officielle. La réhabilitation d'Aziz, par les Chypriotes turcs comme par les Chypriotes grecs, pourrait constituer un petit pas vers une autre histoire nationale de Chypre. Tabitha Morgan est l'auteur de Sweet and Bitter Island : Une histoire des Britanniques à Chypre 1878-1960. Le paludisme face au défi du financement Événements clés à Chypre Juillet 1878 : Arrivée des Britanniques, qui ont obtenu de la Porte ottomane le droit \"d'occuper et d'administrer le territoire\". Mai 1925 : Chypre devient une colonie de la Couronne. Avril 1955 : L'EOKA (Organisation des combattants chypriotes) lance une campagne de guérilla pour mettre fin à la domination britannique sur l'île et unir Chypre à la Grèce. Août 1960 : Chypre devient indépendante de la Grande-Bretagne. En vertu d'une constitution élaborée, le président, l'archevêque Makarios, est choisi parmi la communauté chypriote grecque ; son adjoint, le Dr Fazil Küçük, est un Chypriote turc. Décembre 1963 : Le \"Noël sanglant\" : Des violences intercommunautaires éclatent à l'annonce d'un projet de changement constitutionnel. Les Chypriotes turcs se réfugient dans des enclaves militarisées à travers l'île. Juillet 1974 : La junte militaire grecque lance un coup d'État de courte durée à Chypre, forçant Makarios à fuir. En réponse, la Turquie lance une invasion militaire. Chypre est effectivement divisée, avec une zone tampon sous l'égide des Nations Unies traversant l'île d'est en ouest. Environ 150 000 Chypriotes grecs fuient vers la partie sud de l'île."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47591661", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-50564277", "doc1": "সুস্থ থাকা এবং সৃজনশীলতার জন্য ঘুম প্রয়োজন-বিজ্ঞানীরা বলছেন। একশো বছর আগে মানুষ যতটা ঘুমাতো এখন মানুষ ঘুমায় তার চেয়ে কম। বর্তমান উন্নত বিশ্বে যে সমস্ত রোগ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে আলজেইমার্স, ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যা-এ সবকিছুর সাথে ঘুমহীনতার গভীর সম্পর্ক আছে। তবে ঘুম হতে হবে স্বাভাবিক, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম নয়। ঘুমের ওষুধ হতে পারে ক্যান্সার, সংক্রমণের কারণ। আমরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে শরীর ও মস্তিস্ক কাজ বন্ধ করে দেয়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে শরীর ও মস্তিস্ক কাজ বন্ধ করে দেয় এখন মানুষ আগের চেয়ে অনেক কম ঘুমায়। মানুষের সময় কম। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন ব্যক্তির সাধারণভাবে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এটা সৃজনশীল কাজ এবংমানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি। সাতঘন্টা কম সময় ঘুমালে নিজের শরীর ও মস্তিস্তে তার প্রভাব নিজে অনুভব করতে পারবেন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতায় প্রভাব পড়বে। প্রচুর বৈজ্ঞানিক উপাত্ত আছে যা প্রমাণ করছে যে, পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে কত নিবিড়ভাবে জড়িত। এখনো আমাদের অনেকেই জানিনা কিভাবে এবং কেন আমরা চাইলেই ঘুমাতে পারিনা। এবং ভালো ঘুমের জন্য কী করতে পারি? ঘুম কিন্তু কেবল বালিশে মাথা রাখার ব্যাপার নয়। ঘুমাতে পারছেন না- এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। প্রফেসর ওয়াকার \"হোয়াই উই স্লিপ\" বা কেন আমরা ঘুমাই\" শিরোনামে বই লিখেছেন, তিনি বলেছেন, বিশ্বের একটা বিশাল অংশ অন্ধকারে জেগে থাকে। যে ঘুম তাদের নষ্ট হচ্ছে, সেটা যে পূরণ করা দরকার, সেটা তারা ভাবে না। তারা মনে করে, 'যা গেছে তা গেছে'। কিন্তু কীভাবে আরও ভালোভাবে ঘুমানো যায়, সেটা কিন্তু আপনি শিখতে পারেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন যদি নিজের অভ্যাসকে পাল্টে ফেলতে পারেন, তাহলে আপনি সাথে-সাথেই এর সুফল পাবেন। কাজের ফাঁকে ঘুম দেবে প্রাণশক্তি ভালো ঘুমের জন্য প্রফেসর ওয়াকারের পরামর্শগুলো--- ১. প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যাওয়া এবং বিছানা ছাড়া প্রতিদিন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আবার সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে রোজ বিছানা ছাড়তে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা ঘুমানোর সময়কালকে নিয��মিত রাখবে। কারণ দিনের শেষে একটা নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ঘুম-ভাব চলে আসবে। ঘুমকে গুরুত্ব দিন কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে ঘুমালে লাভ নেই। ২. নিজেকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিন মেলাটোনিন-এমন এক জটিল ধরনের হরমোন যা ভালো, স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য দরকার আর তার জন্য প্রয়োজন অন্ধকার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা নিয়মিতভাবে বৈদ্যুতিক আলোর মাঝে ডুবে আছি। কিন্তু ঘুমের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারে যে কেউ ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ঘরের বাতি কমিয়ে দিয়ে। স্ক্রিন থেকেও লগ অফ করতে হবে, কেননা তা বিশেষ করে নীল আলোর বর্ণচ্ছটায় পরিপূর্ণ, যা মেলাটোনিনকে প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত শক্তিশালী। সুতরাং ঘুমানোর পূর্বে একঘণ্টার মধ্যে কোন ধরনের নীল আলো থাকা যাবেনা। কল্পনা করুন অন্ধকারে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে কেমন অনুভূতি হয়। দিনের মাঝখানে একটু ঝটিকা ঘুম নি:সন্দেহে তরতাজা অনুভূতি দেবে কিন্তু এরফলে হাতছাড়া হতে পারে রাতের ঘুম। ৩. শীতল আরামদায়ক পরিবেশ ঘুমের অভাব আমাদের মস্তিষ্ক এবং দেহে নাটকীয় প্রভাব ফেলে। ঘুমানোর জন্য শীতল পরিবেশ দারুণ ভূমিকা রাখে। ঘুমানোর আগে শরীরের জন্য আরামদায় শীতল পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনে কক্ষে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কক্ষের তাপমাত্রা শীতল করে নিতে পারেন ৪. ঘুমের জন্য বিছানা তৈরি আপনার মস্তিককে এমন একটি বার্তা দিন যে \"বিছানা মানেই ঘুম।\" বিছানা সারারাত ধরে এপাশ-ওপাশ করা আর আর ঘুমানোর আশায় শুয়ে থাকার জন্য নয়। যদি ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসে, তাহলে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ুন এবং অন্য কিছু করুন। হতে পারে হাঁটাহাঁটি, কিংবা হালকা মেজাজের কিছু পড়া-যতক্ষণ না ঘুমের জন্য তৈরি হচ্ছে শরীর ও মন। পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই শান্তি দেবে। ৫. কফির মত উদ্দীপক কোনকিছু বর্জন নিয়মিতভাবে আমরা প্রচুর পরিমাণে উদ্দীপক পানীয় যেমন কোলা, কফি খাচ্ছি। স্নায়ুতন্ত্রে ওপর এসবের উত্তেজক প্রভাব অজানা নয় কারো। উত্তেজক পানীয়র ওপর ভরসা না করে নির্ভর করতে হবে ঘুমের ওপর ঘুমানোর সময়ে থেকে ১২ ঘণ্টা আগে এসব খাওয়া বন্ধ করতে হবে। হ্যাঁ প্রফেসর ওয়াকার কঠিন ভাবে ১২ ঘণ্টার কথাই বলেছেন। কেননা এর প্রভাব শরীরে থেকে যায় দীর্ঘ সময়। কফি পানের ছয় ঘণ্টা পরও রক্তে তা যে পরিমাণে থেকে যায় তা আধা গ্লাস এক্সপ্রেসো পানের সমান। আর নয় ঘণ্টা পরে তা থাকবে ত��ন-চতুর্থাংশের সমান। তাই আপনার রক্ত প্রবাহ থেকে এটি পুরোপুরি সরাতে আপনার ১২ ঘণ্টা দরকার! অ্যালোহল ঘুম আনতে বা সতিক্যার রিল্যাক্স দিতে কোনো সাহায্য করবে না। ৬. অ্যালকোহলে নজর রাখুন জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীতে গিয়ে বলতে হবে, অ্যালকোহল আপনার ঘুম আনতে বা সত্যিকার রিল্যাক্স দিতে কোনও সাহায্য করবে না। অ্যালকোহল পান করে যে ঘুম আসবে তা আপনাকে শক্তি-দায়ক ঘুম যেমন দেবে না, এবং তা নানারকম স্বপ্নের দ্বারা আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাবে।", "doc2": "Une jeune femme dort à l'ombre, à l'abri du soleil de l'après-midi. Elle travaille dans un bar à Gadome, sur la route principale au nord-ouest de Cotonou au Bénin. (Photo d'archives) Matthew, professeur de neurosciences et de psychologie à l'Université de Californie à Berkeley (UC Berkeley), a examiné les données de millions de personnes qui ont participé à plusieurs études épidémiologiques. \"Le sommeil est le système de soins de santé le plus démocratique et le plus libre que l'on puisse souhaiter\", dit-il. Lire aussi: Et la communauté scientifique est d'accord : après 50 ans de recherche, les spécialistes du sommeil du monde entier ne cherchent plus à savoir \"ce que fait le sommeil\", mais \"y a-t-il quelque chose que le sommeil ne nous apporte pas vraiment\" ? Qu'est-ce que le sommeil a toujours fait pour nous ? Notre corps et notre cerveau cessent de fonctionner correctement si nous manquons de repos. Jusqu'à présent, les experts ne peuvent rien trouver qui ne soit pas nourri par le sommeil, ou qui implose lorsque le sommeil est court : la science a prouvé qu'un manque de sommeil a un impact dramatique sur notre cerveau et notre corps. Toutes les maladies qui tuent les gens dans les pays développés - la maladie d'Alzheimer, le cancer, les maladies cardiovasculaires, l'obésité, le diabète, la dépression, l'anxiété et même le suicide - ont un lien important ou occasionnel avec un manque de sommeil. Tous les principaux systèmes physiologiques du corps humain et tous les réseaux ou opérations de l'esprit font l'objet d'une révision pendant le sommeil - ce qui est nettement altéré lorsque vous n'en avez pas assez. Mais il faut que ce soit le sommeil naturel pour qu'il fonctionne le mieux - les somnifères ont été associés à un risque accru de cancer, d'infection et de mortalité. Lire aussi: On dort moins qu'il y a 100 ans. Ne lésinez pas sur le sommeil, vous ne faites que vous tromper. Le sommeil est donc très bon pour nous.... et pourtant, si vous regardez les données des pays industrialisés, il y a une tendance claire : les gens dorment moins maintenant qu'il y a un siècle. Idéalement, une personne devrait s'efforcer de dormir de sept à neuf heures pour assurer une bonne santé physique, sans compter que c'est aussi crucial pour la créativité et essentielle pour la santé mentale. Une fois que vous avez moins de sept heures de sommeil, vous pouvez commencer à mesurer les déficiences objectives de votre cerveau et de votre corps : le système immunitaire et la performance cognitive commencent à être affectés. Mais comment pouvez-vous vous assurer d'avoir tout ce temps de sommeil important ? Lire aussi: Comment obtenir une bonne nuit de sommeil Prenez votre sommeil au sérieux, mais ne devenez pas obsessionnel. S'endormir n'est pas seulement une question de mettre la tête sur l'oreiller : un nombre croissant de personnes dans le monde semblent ne pas être prêts ou incapables de s'endormir. Nous passons des heures à absorber la lumière bleue des écrans, le rythme de la vie moderne est trépidant. Et ne pensez même pas à \"rattraper\" le sommeil perdu quand vous en avez l'occasion : \"Ce qui est parti, c'est parti\", dit le professeur Walker. Mais vous pouvez vous apprendre à dormir plus et mieux - les scientifiques disent que si vous changez vos habitudes, vous commencerez à en ressentir les bienfaits immédiatement. Le professeur Walker, qui a aussi écrit \"Why We Sleep\" (Pourquoi nous dormons), a ces meilleurs conseils pour nous aider à dormir. 1. Réveillez-vous et allez au lit à la même heure - tous les jours Faire une sieste à midi peut être tentant, mais cela peut vous empêcher de dormir la nuit. Pour commencer, c'est aussi simple que cela : assurez-vous d'aller au lit tous les jours et de vous réveiller à la même heure. Le plus important est de toujours garder une heure de réveil constante - car cela vous aidera à garder des heures de sommeil régulières, car à la fin de la journée, vous aurez plus tendance à avoir sommeil en même temps aussi. 2. Trempez-vous dans les ténèbres C'est quand la dernière fois que tu n'as pas allumé les lumières après le coucher du soleil ? Imaginez ce qui arrive à votre esprit quand vous vous trempez dans les ténèbres. Nous avons besoin de l'obscurité pour permettre la libération de la mélatonine, l'hormone critique qui induit un bon sommeil sain. Malheureusement, l'un des effets secondaires du progrès est que nous sommes constamment baignés de lumière électrique - mais vous pouvez vous aider en créant l'atmosphère propice au sommeil : baissez la lumière dans la maison une heure avant d'aller au lit. Cela signifie également qu'il faut déconnecter les écrans, car ils sont particulièrement enrichis en lumière bleue visible, le type de lumière le plus puissant pour bloquer la mélatonine. Donc, pas de lumière bleue pour toi une heure avant le coucher. 3. Gardez-vous au frais Refroidir la température de votre maison avant d'aller au lit Les progrès ont également entraîné une perte de contact avec le flux et le reflux naturel de chaleur et de fraîcheur tout au long de la période de 24 heures. La fraîcheur est le déclencheur d'un bon sommeil, notre cerveau et notre corps ont besoin d'abaisser sa température centrale d'environ 1°C pour pouvoir se reposer naturellement dans un sommeil réparateur. N'oubliez donc pas de régler le thermostat de votre maison à 18°C la nuit. 4. Gardez votre lit pour dormir Vous serez plus heureux si vous dormez suffisamment. Et pour l'intimité, pas de concours de pizza, de marathons de lecture ou de batailles d'oreillers. Le cerveau humain est très rapide à faire des associations : vous voulez renforcer le message \"le lit est synonyme de sommeil\", et non pas \"l'heure du coucher, c'est pour se ballotter et se retourner sans fin en espérant s'endormir\". Si vous êtes au lit depuis 20 minutes et que vous ne dormez pas, sortez et faites autre chose - comme marcher ou lire dans une autre pièce légèrement éclairée - jusqu'à ce que vous soyez prêt à dormir. 5. Réduisez votre consommation de stimulants comme le café Est-ce que tes rêves sont faits de ça ? Ne comptez pas sur les stimulants pour vous aider à passer la journée Dans une journée normale, nous pouvons consommer de grandes quantités de stimulants comme le cola, la caféine et la théine - tous bien connus pour leurs effets stimulants sur le système nerveux. Arrêtez-les 12 heures avant l'heure du coucher - oui, le Prof Walker recommande vraiment 12 heures entières ! Il dit que le café a une \"demi-vie\" : cela signifie que six heures après l'avoir bu, vous avez encore autant de caféine dans le sang que si vous aviez bu un demi expresso, et neuf heures plus tard, c'est toujours les trois quarts d'un expresso.... donc pour tout éliminer de votre sang, il vous faut 12 heures ! De cette façon, vous vous préparerez pour une soirée plus relaxante. 6. Gardez un œil sur l'alcool Boire et dormir ne font pas de bons compagnons de lit. Contrairement à la croyance populaire, l'alcool ne vous aidera pas à vous assoupir ou à vous détendre vraiment. Un sommeil induit par l'alcool ne conduira pas non plus à un sommeil réparateur, et il interférera avec votre sommeil paradoxal ou de rêve."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47904016", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/monde-47896682", "doc1": "২০১৭ সালে লন্ডনে একুয়েডর দূতাবাসের বারান্দায় জুলিয়ান আসঞ্জ। ধর্ষণের অভিযোগে সুইডেনে একটি মামলা এড়াতে মি: আসঞ্জ একুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। তার দিক থেকে এই আশংকাও ছিল যে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সুইডেনে পাঠানোর পর সেখান থেকে তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া হতে পারে। লন্ডনে একুয়েডর দূতাবাসের বাইরে সবসময় পুলিশ অবস্থান করতো যাতে মি: আসঞ্জ সেখান থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু সাত বছর পর একুয়েডর কেন মি: আসঞ্জকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দিল। মি: আসঞ্জ-এর উপর থেকে একুয়েডর কেন সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে? পুলিশ ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জুলিয়���ন আসঞ্জ। লন্ডনে একুয়েডর-এর রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে দূতাবাসে আমন্ত্রণ জানিয়ে জুলিয়ান আসঞ্জকে তাদের হাতে তুলে দেন। এর আগে একুয়েডর সরকার মি: আসঞ্জ-এর রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে। একুয়েডর-এর প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো বলেছেন, জুলিয়ান আসঞ্জ-এর আচার-ব্যবহারের কারণে তাদের ধৈর্যের সীমা একেবারে শেষ প্রান্তে এসে ঠেকেছে। সম্প্রতি ভ্যাটিকান সম্পর্কিত কিছু দলিলপত্র ফাঁস করে দেবার বিষয়টি উল্লেখ করেন একুয়েডর-এর প্রেসিডেন্ট। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এসব দলিলপত্র ফাঁস করা হয়। একুয়েডর-এর প্রেসিডেন্ট বলেন, \"এসব কাগজপত্র ফাঁস করার মাধ্যমে বিশ্ব নিশ্চিত হয়েছে যে উইকিলিকস-এর সাথে মি: আসঞ্জ-এর এখনো সম্পর্ক আছে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করছে। \" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় দু'জন আটক ষাট দশকের 'যৌন বিপ্লব চার্চে শিশু নিপীড়নের কারণ' 'বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাই মানুষ হতে, লাশ হতে নয়' ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটের ইস্যুগুলো কী? নুসরাত হত্যা: কী করছে পিবিআই? প্রেসিডেন্ট আরো অভিযোগ করেন, মি: আসঞ্জ লন্ডনে একুয়েডর দূতাবাসের নিরাপত্তা ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিল। এছাড়া দূতাবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন মি: আসঞ্জ। একুয়েডর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও তিনি বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। সে বক্তব্যের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, মি: আসঞ্জ দূতাবাসের ভেতরে স্কেটবোর্ডিং করতেন এবং ফুটবল খেলতেন। এ নিয়ে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবজ্ঞা করেছেন। একুয়েডর দূতাবাস সাত বছর তাকে আশ্রয় দিলেও জুলিয়ান আসঞ্জ কোন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন না। বরং একুয়েডর দূতাবাসের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে তার উপর নজরদারী করছেন। জুলিয়ান আসঞ্জ-এর আইনজীবী জেনিফার রবিনসন বলেন, এই গ্রেফতার বিপদজনক উদাহরণ তৈরি করেছে। একুয়েডর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান আরো বলেছে, জুলিয়ান আসঞ্জকে দূতাবাসের ভেতরে রাখার জন্য একুয়েডর সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ২০১২ থেকে সাত বছরে মি: আসঞ্জ-এর নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৬০ লাখ ডলার খরচ করতে হয়েছে। এছাড়া আরো চার লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে তার চিকিৎসা, খাবার এবং জামা-কাপড় বাবদ। তাছাড়া জুলিয়ান আসঞ্জ-এর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাবার বিষয়টি একুয়েডর দূতাবাসের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছিল। কারণ দূতাবাসের ভেতরে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। একুয়েডর-এর প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ব্রিটিশ সরকার লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে মি: আসঞ্জকে এমন কোন দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে না যেখানে তাকে নির্যাতন করা হতে পারে,অথবা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে। মি: আসঞ্জ গ্রেফতার হবার মাত্র একদিন আগেই উইকিলকস বলেছে, তাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতার লন্ডনে একুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে ব্যাপক গুপ্তচরবৃত্তি করেছে। দূতাবাসের ভেতরে মি: আসঞ্জ কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না - এসব নিয়ে একুয়েডর কর্তৃপক্ষ এবং জুলিয়ান আসঞ্জ-এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। তবে দূতাবাসের ভেতরে ঠিক কী ঘটেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এনিয়ে জুলিয়ান আসঞ্জ-এর দিক থেকে ভিন্ন দাবিও আছে। আরো পড়তে পারেন: জুলিয়ান আসঞ্জ: সত্যানুসন্ধানী, নাকি প্রচারকামী ?", "doc2": "Le co-fondateur de Wikileaks, Julian Assange, a été arrêté à l'ambassade de l'Équateur à Londres. M. Assange s'est réfugié à l'ambassade, il y a sept ans, pour éviter d'être extradé vers la Suède concernant une affaire d'agression sexuelle qui a depuis été abandonnée. La police britannique a annoncé qu'il avait été arrêté pour ne pas s'être rendu au tribunal. Le site Wikileaks est connu pour avoir diffusé en 2010 plus de 700 000 documents sur les activités militaires et diplomatiques américaines Voir aussi : En Suède, Assange n'est plus sous le coup d'une enquête Le président équatorien, Lenin Moreno, a déclaré qu'il avait retiré l'asile de M. Assange après ses violations répétées des conventions internationales. Mais WikiLeaks a twitté que l'Équateur avait agi illégalement en mettant fin à l'asile politique de M. Assange \"en violation du droit international\". Le ministre de l'Intérieur Sajid Javid a twitté : \" je peux confirmer que Julian Assange est actuellement en garde à vue et fera face à la justice au Royaume-Uni''. Voir aussi : Wikileaks a fait des révélations inquiétantes sur la CIA M. Assange, 47 ans, avait refusé de quitter l'ambassade, affirmant que s'il le faisait, il serait extradé vers les États-Unis pour y être interrogé sur les activités de WikiLeaks. Il a été placé en garde à vue dans un commissariat londonien et sera «présenté au tribunal de Westminster dès que possible»."} +{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52062915", "doc2_url": "https://www.bbc.com/afrique/region-52062881", "doc1": "সেক্ষেত্রে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে আপনি কী ভূমিকা রাখতে পারেন? ১. থামুন এবং চিন্তা করুন আপনি আপনার পরিবার ও বন্ধুদের ভাল চান এবং তাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখতে চান। তাই নতুন কোনো তথ্য যখন আপনি পান - সেটা ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা টুইটার যেখানেই হোক না কেন - আপনি তাদের কাছে সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে চান। কিন্তু ��িশেষজ্ঞরা বলেন ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে আপনি সর্বপ্রথম যা করতে পারেন, তাহলো এমন কাজ থেকে বিরতি নিন এবং চিন্তা করুন। আপনার যদি কোনো সন্দেহ হয়, তাহলে ওই বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। ২. তথ্যের উৎস যাচাই করুন কোনো পোস্ট আরেকজনের কাছে পাঠানোর আগে তথ্যগুলোর উৎস যাচাই করার চেষ্টা করুন। উৎস যদি হয়ে থাকে 'এক বন্ধু', 'বন্ধুর আত্মীয়', 'আত্মীয়ের সহকর্মী' অথবা 'সহকর্মীর আত্মীয়'-র মত কেউ, তাহলে অবশ্যই সেই তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। সম্প্রতি 'মাস্টার্স ডিগ্রিধারী আঙ্কেল'-এর সূত্র দিয়ে প্রকাশিত হওয়া এ রকম একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত পোস্টের উৎস খুঁজে বের করেছে বিবিসি। ঐ পোস্টটির কয়েকটি তথ্য - যেমন ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে হাত ধোয়ার উপদেশ - সঠিক থাকলেও অধিকাংশ উপদেশই ছিল ক্ষতিকর। যেমন সেখানে রোগ নিরাময়ের অযাচাইকৃত এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন কিছু পরামর্শ ছিল। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক তথ্য যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্টের ডেপুটি এডিটর ক্লেয়ার মিলন বলেন, \"স্বাস্থ্য বিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরামর্শ দিতে পারে গণস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো - যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম (এনএইচএস) বা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।\" এমন নয় যে বিশেষজ্ঞরা সবসময় শতভাগ সঠিক তথ্য দিতে পারেন, তবে তারা নিঃসন্দেহে কারো আত্মীয় বা হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে নির্ভরযোগ্য। ৩. তথ্যটি কি ভুল হতে পারে? বাইরে থেকে দেখে বিভ্রান্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের কারো আনুষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট বা যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে পোস্ট দেয়া খুবই সম্ভব। সেই সব পোস্ট দেখে মনে হতে পারে যে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেই এসেছে তথ্যগুলো। স্ক্রিনশট পরিবর্তন করে এমনভাবে তা প্রকাশ করা যায় যা দেখে মনে হয় যে তথ্য বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই এসেছে। এ রকম ক্ষেত্রে পরিচিত এবং ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখুন। সেসব জায়গায় যদি সহজে তথ্যগুলো খুঁজে না পান, তাহলে সম্ভবত এগুলো ভুল। আর পোস্ট, ভিডিও বা লিঙ্ক দেখেই যদি আপনার ভরসা না হয়, তাহলে হয়তো ভরসা না করাই উচিত। ৪. সত্যতা নিয়ে অনিশ্চিত? - শেয়ার করবেন না কোনো তথ্য 'ঠিক-হতেও-তো-পারে' মনে করে সেগুলো আরেকজনকে পাঠাবেন না। এ রকম ক্ষেত্রে আপনি কারো ভালো করার মানসিকতা নিয়ে তথ্য দিয়ে হয়তো তাকে ক্ষতির সম্মুখীন করবেন। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? ৫. প্রতিটি তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করুন হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস বেশ ছড়িয়েছে। ওই ক্লিপে যে নারী কথা বলেন, তিনি সেখানে বলেন যে তার 'সহকর্মীর একজন বন্ধু, যিনি হাসপাতালে কাজ করেন' তার কাছ থেকে তথ্যগুলো জেনে অনুবাদ করেছেন তিনি। ওই ভয়েস ক্লিপটি সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিবিসি'র কাছে পাঠিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ভয়েস ক্লিপটির তথ্যগুলো ছিল ভুল এবং সঠিকের সংমিশ্রণে তৈরি করা। যখন অনেকগুলো উপদেশের তালিকা আপনাকে পাঠানো হবে, তখন অনেক সময় আপনি সবগুলো তথ্যই বিশ্বাস করতে চাইবেন। কারণ তালিকায় থাকা কয়েকটি তথ্য যে সঠিক, সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত। কিন্তু অনেক সময়ই কয়েকটি সঠিক তথ্যের সাথে ভুল তথ্য যোগ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ৬. আবেগী পোস্ট থেকে সাবধান যেসব পোস্ট আমাদের আতঙ্কিত, চিন্তিত অথবা উৎফুল্ল করে তোলে, সে রকম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। অনলাইনে ভুল তথ্য আলাদা করতে সাংবাদিকদের সাহায্য করা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ড্রাফটের ক্লেয়ার ওয়ার্ডল বলেন, \"বিভ্রান্তিকর তথ্যকে টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় ভিত্তি মানুষের মধ্যকার ভয়।\" তিনি বলেন, \"নিজেদের কাছের মানুষকে সব সময় সাহায্য করতে চায় মানুষ, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তাই 'ভাইরাস প্রতিরোধ করার টিপস' বা 'এই ওষুধগুলো খান' জাতীয় পোস্ট সহজে ভাইরাল হয়। কারণ মানুষ যেভাবে পারে কাছের মানুষকে সাহায্য করতে চায়।\" কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? ৭. একপেশে চিন্তা সম্পর্কে সাবধানে থাকুন আপনি যখন একটি পোস্ট শেয়ার করেন, তখন আপনার সেটি শেয়ার করার পেছনে যুক্তিটি কী থাকে? পোস্টের তথ্যগুলোর সত্যতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত বলে শেয়ার করছেন, নাকি আপনি শুধুমাত্র তথ্যগুলোকে সমর্থন করছেন? ডেমোসের সেন্টার ফর দ্য অ্যানালিসিস অব সোশ্যাল মিডিয়ার গবেষণা পরিচালক কার্ল মিলার মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন যেসব পোস্টে আসে, সেসব পোস্টই আমরা সাধারণত শেয়ার করে থাকি। তিনি বলেন, \"যখন কিছু দেখে আমরা ক্রুদ্ধ হয়ে মাথা ঝাঁকাই, সেই সময়ে আমাদের ভুল তথ্য শেয়ার করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।\" \"ঐ সময়টাতে আমাদের অনলাইন কার্যক্রম ধীরগতিতে চালানো জরুরি।\"", "doc2": "1. Arrêtez-vous et réfléchissez Vous voulez aider votre famille et vos amis et les tenir informés. Ainsi, lorsque vous recevez de nouveaux conseils - que ce soit par e-mail, WhatsApp, Facebook ou Twitter - vous pouvez les leur transmettre rapidement. Mais selon les experts, la première chose que vous pouvez faire pour mettre fin à la désinformation est simplement de prendre un temps de réflexion. Si vous avez des doutes, faites une pause et approfondissez la vérification. 2. Vérifiez votre source Avant de partager, posez quelques questions de base sur la provenance des informations. C'est un gros drapeau rouge si la source est \"un ami d'un ami\" ou \"le voisin du collègue de ma tante\". Nous avons récemment suivi comment un message trompeur de la part d'un \"oncle détenteur d'un diplôme de master\" est devenu viral. Certains détails de la publication étaient exacts - certaines versions, par exemple, encourageaient le lavage des mains pour ralentir la propagation du virus. Mais d'autres détails étaient potentiellement dangereux, faisant des affirmations non prouvées sur la façon de diagnostiquer la maladie. \"Les sources d'information les plus fiables restent les organismes de santé publique comme l'Organisation mondiale de la santé\" déclare Claire Milne, rédactrice en chef adjointe de l'organisation de vérification des faits basée au Royaume-Uni, Full Fact. Les experts ne sont pas infaillibles. Mais ils sont beaucoup plus fiables que le parent éloigné d'un étranger sur WhatsApp. 3. Serait-ce un faux? Les apparences peuvent être trompeuses. Il est possible de se faire passer pour des comptes officiels et des autorités, y compris BBC News et le gouvernement. Les captures d'écran peuvent également être modifiées pour donner l'impression que les informations proviennent d'un organisme public de confiance. Vérifiez les comptes et sites Web connus et vérifiés. Si vous ne trouvez pas facilement les informations, il peut s'agir d'un supercherie. Et si un article, une vidéo ou un lien vous semble louche, c'est probablement le cas. Selon Claire Milne de Full Fact, les majuscules et les polices incompatibles sont quelque chose que les vérificateurs utilisent comme indicateur qu'un message peut être trompeur. 4. Vous ne savez pas si c'est vrai? Ne partagez pas Ne partagez pas les choses \"au cas où\" elles pourraient être vraies. Vous pourriez faire plus de mal que de bien. Souvent, nous publions des articles dans des endroits où nous savons qu'il y a des experts - comme des médecins ou des professionnels de la santé. Cela pourrait être OK, mais assurez-vous d'être très clair sur vos doutes. Et méfiez-vous - la photo ou le texte que vous partagez pourrait être plus tard retiré de son contexte. 5. Vérifiez chaque fait individuellement Il y a une note vocale qui circule sur WhatsApp. La personne qui parle dans la note dit qu'elle traduit les conseils d'un \"collègue qui a un ami\" travaillant dans un hôpital. Il a été envoyé à la BBC par des dizaines de personnes à travers le monde. Mais c'est un mélange de conseils précis et inexacts. Lorsque vous recevez de longues listes de conseils, il est facile d'y croire simplement parce que vous savez avec certitude que l'un des conseils (par exemple, sur le lavage des mains) est vrai. Mais ce n'est pas toujours le cas. 6. Méfiez-vous des messages émotionnels C'est ce qui nous rend craintifs, en colère, anxieux ou joyeux qui tend à devenir vraiment viral. \"La peur est l'un des principaux moteurs qui permet d'amplifier la désinformation \", explique Claire Wardle de First Draft, une organisation qui aide les journalistes à lutter contre la désinformation en ligne. Des appels urgents à l'action sont conçus pour augmenter l'anxiété - soyez donc prudent. \"Les gens veulent aider leurs proches à rester en sécurité, alors quand ils voient \"Astuces pour prévenir le virus!\" ou \"Prenez ce supplément de santé!\" ils veulent faire tout leur possible pour aider \", dit-elle. 7. Pensez aux préjugés Partagez-vous quelque chose parce que vous savez que c'est vrai - ou simplement parce que vous êtes d'accord avec cela? Carl Miller, directeur de recherche du Center for the Analysis of Social Media at think tank Demos, dit que nous sommes plus susceptibles de partager des articles qui renforcent nos croyances existantes. \"C'est lorsque nous hochons la tête avec colère que nous sommes les plus vulnérables\", dit-il. \"C'est à ce moment-là que nous devons avant tout prendre de la distance avec tout ce que nous faisons en ligne.\""}