{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43979008", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-37481921", "doc1": "ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিল্লির লাল কেল্লা এক সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে 'হু' জানিয়েছে, সবথেকে দূষিত শহর হলো উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর । সেখানে শূন্যে ভাসমান কণার পরিমাণ নিরাপদ স্তরের থেকে প্রায় ১৭ গুণ বেশি। পিছিয়ে নেই জাতীয় রাজধানী দিল্লি আর তার লাগোয়া ফরিদাবাদ, বা উত্তর প্রদেশের প্রাচীন শহর বারাণসী। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়ন আর শিল্পায়ন হয়েছে এই ভারতীয় শহরগুলোতে - আর এটাই ব্যাপক বায়ুদূষণের একটা বড় কারণ। পৃথিবীর ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের যে তালিকা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশ করেছে তাতে ভারতের শহরগুলি ছাড়াও কুয়েত, চীন আর মঙ্গোলিয়ার কয়েকটি শহর আছে। পৃথিবীর চার হাজারেরও বেশী শহরে বায়ুতে ভাসমান ধুলিকণার নিয়মিত পরিমাপ বিশ্লেষণ করে 'হু' এই তালিকা বানিয়েছে। উত্তর প্রদেশের যে কানপুর শহরকে সবথেকে দূষিত শহর বলা হচ্ছে, সেখানকার একজন আইনজীবি ও পরিবেশবাদী রবি শর্মা জানাচ্ছিলেন, কেন তাদের শহরে বায়ুদূষণের পরিমান এত বেশি। \"আমাদের শহরে গাছগাছালি খুবই কম। যদিও একটি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ১৬ % জমি পার্ক বা বৃক্ষায়ণের জন্য রাখা ছিল। কিন্তু সেই সব জমি অন্য কাজে বিলি অথবা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আইন বাঁচিয়েই করা হচ্ছে ব্যাপারটা। শহরের আয়তন বৃদ্ধি করে দেখানো হচ্ছে যে নির্দিষ্ট পরিমান জমি সবুজায়নের জন্য রাখা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের হিসাবেই শহরের পুরনেো শহরের মাত্র এক শতাংশ জমিতে পার্ক রয়েছে,\" - বলছিলেন মি. শর্মা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দুবাই রাজকন্যার পলায়ন নাটক, বিতর্কে নরেন্দ্র মোদী কেন সুচির সুর নরম, নিরাপত্তা পরিষদ কি বলেছে তাকে 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' 'ইসলাম বিদ্বেষ কমছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক' ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক বিশেষ সবচেয়ে দুষিত ২০ শহরের ১৪টিই ভারতে এছাড়াও রাস্তা তৈরী হচ্ছে, অথচ তার পাশে আইন অনুযায়ী গাছ লাগানো হচ্ছে না, উন্মুক্ত মাটি রেখে দেওয়া হচ্ছে - যার ফলে ধুলিকণা অত্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছিলেন কানপুরের পরিবেশবাদী রবি শর্মা। কলকাতার পরিবেশবাদী সুভাষ দত্ত বহু বছর ধরে পরিবেশ দূষণের নানা দিক নিয়ে মামলা করে আসছেন। তিনি বলছিলেন, ভারতে পরিবেশ রক্ষার আইনগুলো শুধুই খাতায় কলমে রয়েছে, সেগুলোর প্রয়োগ হয় না। মি. দত্তর কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে ভারতের থেকেও অনেক উন্নত দেশ রয়েছে, যারা শিল্পস্থাপনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। সেইসব দেশের শহরগুলিতে তো পরিবেশ দূষণের সমস্যাটা এত ভয়ঙ্কর নয়! এর কারণ ব্যাখ্যা করে মি. দত্তর মন্তব্য, \"শিল্প ক্ষেত্রে দুই ভাবে আইন ভাঙ্গা হচ্ছে - তৈরীর সময়ে আর শিল্পকারখানা চালু হয়ে যাওয়ার পরেও। পরিবেশ রক্ষা ব্যবস্থাপণা করতে গেলে যে খরচ হয়, সেটাকে বাড়তি ব্যয় বলে মনে করে শিল্প মহল। তার মানেই শিল্পপতিদের মুনাফা কমে যাবে, তাই তারা পরিবেশ বিধি অমান্য করে চলেছেন। \"আর পরিবেশ আদালতগুলোকেও অকেজো করে দেওয়া হচ্ছে ধীরে ধীরে। এমন দিনও দেখতে হবে হয়তো যখন এইধরণের আন্তর্জাতিক রিপোর্টে সবকটি দূষিত শহর শুধুই ভারত থেকেই স্থান পাবে!\" পরিবেশ দূষণ ক্ষেত্রে ভারতের নামকরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্টের বা সি এস ই-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী বলছিলেন, উন্নত দেশগুলিতে গোড়া থেকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের ওপরে কড়া নজর দিয়েছিল, যেটা ভারতে করা হয় না। ভারতের কানপুর রয়েছে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে \"শিল্পোন্নত দেশগুলিতেও গোড়ার দিকে বায়ুদূষণের প্রবল সমস্যা ছিল। লন্ডন স্মগ বা পেনসিলভানিয়া স্মগের কথা সকলেই জানি। কিন্তু ওখানে যেটা করেছিল যে, শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনের ওপরেও ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছিল। আমাদেরও উন্নত হতে হবে, কিন্তু একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি বা আইনগুলোকে কড়া ভাবে প্রয়োগ করতে হবে,\" বলছিলেন অনুমিতা রায়চৌধুরী। জাপানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছিলেন, \"তারা শিল্প বিনিয়োগের ২৫% অর্থ পরিবেশ দূষণরোধে কাজে লাগায়। আমাদের সেই সামর্থ নেই। তাই আমরা প্রথমে দূষণ সৃষ্টি করব, আর তারপরে সেই দূষণ পরিষ্কার করব - এটা আমাদের দেশে অসম্ভব। তাই প্রথম থেকেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনে রাখতেই হবে।\" মিজ. রায়চৌধুরী আরও বলছিলেন যে শহরে বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আর সেই জন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এখণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপরে দূষণের সরাসরি কী প্রভাব পড়বে, সেই হিসাব দিয়েছে। বলা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারনেই ৪২ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন। পরিবেশবাদীদের আশা, যদি নিজের বা কাছের মানুষদের স্বাস্থ্যের ওপরে বায়ুদূষণের এই ভয়াবহ প্রভাব দেখে নাগরিকদের বা আইন রক্ষকদের চেতনা জাগে।", "doc2": "Ən çirkli hava Cənub-Şərqi Asiyada müşahidə olunur, ÜST bildirir. ÜST-ün hesabatına əsasən, ən pis vəziyyət Cənub-Şərqi Asiya və Sakit okeanın qərbində, o cümlədən Çin, Malayziya və Vyetnamdadır. Yeni məlumat \"bizi çox narahat edir\", ÜST-ün İctimai Səhiyyə və Ətraf Mühitin Mühafizəsi şöbəsinin direktoru Maria Neira deyib. \"Bu, sağlamlıq üçün fövqəladə bir haldır\", o vurğulayıb. Təşkilatın ekspertləri xəbərdarlıq ediblər ki, problem şəhərlərdə daha kəskindir. Eynilə kənd yerlərində vəziyyət çoxlarının düşündüyündən daha da acınacaqlıdır. ÜST-ün məlumatları peyk tərəfindən çəkilmiş şəkillər və dünyanın 3000-dən artıq bölgəsində keçirilən hava yoxlamalarına əsaslanır. Təşkilatın məlumatına görə, qapalı yerlərdə baş vermiş ölümlər daxil olmaqla dünyada hər doqquz ölümdən biri çikrli hava ilə əlaqəlidir. ÜST bildirir ki, problem kömürdən istifadə edən yoxsul ölkələrdə daha aktualdır. Ekspertlərin dəyərləndirmələrinə görə, 2012-ci ildə havanın çirkliliyi təxminən 3 milyon insan ölümünə səbəb olub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40810431", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-40813263", "doc1": "রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ মি. ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেসে পাশ হওয়া এই বিলটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমতি দানের স্বাক্ষর করতে গিয়ে, বিলটিকে তিনি 'ফ্লড' বা 'ত্রুটিযুক্ত বিল' বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আসলে 'পূর্ণমাত্রায় বাণিজ্যকেন্দ্রিক যুদ্ধ' শুরুর প্ররোচনা দিচ্ছে। মি: মেদভেদেভ বলেছেন, \"এই যে বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সই করলেন, এতেই স্পষ্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব আসলে কতটা\"। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পুরোপুরি অপদস্থ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস গত সপ্তাহে প্রায় সর্বসম্মতভাবে রাশিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের বিল পাশ করে। এই বিল সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হওয়ায় নাখোশ ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই অনেকেই মনে করছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিলটিতে স্বাক্ষর করার সময়ে শেষ মুহূর্তে কোনো একটা অজুহাতে মি: ট্রাম্প হয়তো তাতে স্বাক্ষর নাও করতে পারেন। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রুশ-অবরোধ বিলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নিজেকে আরো সমালোচিত করে তুলতে চাননি বলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো এই বিলে স্বাক্ষর করেছেন বলেও মনে করছেন অনেকেই। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ভূমিকা ‌এবং ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর এই নতুন অবরোধ এলো। গত মাসেই ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম বৈঠক হলো জার্মানিতে জি-৭ সম্মেলনে। এর পর দুই দেশই তাদের সম্পর্ক উন্নয়নে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা বিল আবারো উত্তেজনার পারদই বাড়িয়ে দিল বলেও মনে করছে কেউ কেউ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে তবে, জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাবে। তিনি বলছেন, \"আমি আজকাল সত্যিই এই ভেবে বিস্মিত হই যে, দুনিয়ায় এমন কোনো ইস্যু কি আছে যেটি নিয়ে আপনি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করতে পারবেন না! কিন্তু আমরা খিটখিটে শিশুর মতন নই এবং চারিদিকে যা কিছু ঘটে তার সকল কিছু দিয়েই আমরা বিরক্ত বোধ করি না। আমাদের সহযোগীদের সাথে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও, আমরা কাজ করতে উপায় খুঁজবো\"। \"আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশী করতে চাই বা ওই বিলে কী আছে এইসবের জন্য নয়। বরং আন্তর্জাতিক সমাজের কল্যাণের নিমিত্তে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, আমরা একত্রে কাজ করবো এটা বোঝাতে যে, আমরাও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারি\" বলেন রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া । মার্কিন নির্বাচনে রুশ-হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ এনে এই অবরোধ দেয়া হলো, সেই অভিযোগ শুরু থেকেই নাকচ করে আসছে রাশিয়া। নতুন এই অবরোধ বিলের মাধ্যমে রাশিয়ার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধেও অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ওপর আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞাটিকে পরমাণু চুক্তির লংঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান। নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান বলেছে, এর মাধ্যমে অ্যমেরিকা পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:", "doc2": "Rubl və neft ucuzlaşır Cümə axşamı günü səhər saatlarında Moscow Exchange birjasında 40 sent bahalaşan dollar 60.75 rubla satılıb. Bir qədər keçmiş ona 60.78 rubl təklif olunub, TASS agentliyi xəbər verir. Rublun məzənnəsi avroya nisbətdə də aşağı düşərək 72.01 avro həddində qərarlaşıb. Rublun zəifləməsi neftin qiymətlərinin aşağı düşməsinə təsadüf edir. Cümə axşamı günü Rusiyanın Baş naziri ABŞ-ın yeni sanksiyalarını ölkəsinə qarşı \"tammiqyaslı ticarət müharibəsi elanı\" kimi dəyərləndirib. ABŞ sanksiyaları, həm 2014-ci ildə Krımın Rusiya tərəfindən ilhaqına, həm də Rusiyanın ABŞ prezident seçkilərinə müdaxiləsi iddialarına cavab olaraq qəbul olunub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43016230", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-43031927", "doc1": "হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভের একটি অনেকটা 'মি-টু' আন্দোলনের অনুকরণে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই আন্দোলন চালাচ্ছেন 'মস্ক-মি-টু' হ্যাশট্যাগে। মিসরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারীবাদী লেখিকা এবং সাংবাদিক মোনা এলতাহাউই প্রথম তার অভিজ্ঞতার কথা এভাবে জানান। ২০১৩ সালে হজ করতে গিয়ে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই #মস্ক-মি-টু আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় টুই্টারে এই হ্যাশট্যাগটি দু হাজার বারের বেশি রি-টুইট করা হয়েছে। ফার্সি ভাষায় টু্‌ইটারে এটি এখন শীর্ষ দশটি ট্রেন্ডের একটি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কিভাবে ভিড়ের মধ্যে তাদের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে বা ধাক্কা দেয়া হয়েছে, ইচ্ছে করে শরীরে শরীর ঘষা হয়েছে, তার বর্ণনা তুলে ধরেছেন অনেক মহিলা। মুসলিমদের কাছে হজ হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভের একটি। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজে যাওয়া কর্তব্য বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর প্রায় বিশ লাখ মুসলিম সৌদি আরবে হজ করতে যান। মক্কা নগরীকে ঘিরে বিশাল জনসমাগম হয়। ইসলামে নারীকে পর্দা মেনে চলতে বলা হয়। প্রকাশ্যে চলাফেরার সময় মাথা এবং শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হয়। কিন্তু ইসলামের বিধান মেনে পোশাক পরার পরও তারা যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা পান না বলে অভিযোগ করেন ইরান, সৌদি আরব, মিশর এবং আফগানিস্তানের মতো রক্ষণশীল মুসলিম দেশের নারীরা। 'মস্ক-মি-টু' হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক নারী অভিযোগ করছেন, এমনকি সবচেয়ে ধর্মীয় স্থানে পর্যন্ত তারা রেহাই পাচ্ছেন না। পুরো মাথা শরীর ঢেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় তাদের সঙ্গে এধরণের আচরণ করা হচ্ছে। ফারানাক আমিদি নামে একজন লিখেছেন, \"মস্ক-মি-টু আন্দোলন আবারও প্রমান করেছে যে মেয়েরা পোশাকে কতটা রক্ষণশীল তার সঙ্গে যৌন হয়রানির কোন সম্পর্ক নেই। মেয়েরা কি পরছে সেটা নয়, পুরুষদের আসলে মেয়েদের কি চোখে দেখার এবং কি আচরণের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তার সঙ্গেই এর সম্পর্ক।\" রুবাহদখত নামে একজন লিখেছেন, সৌদি আরবের মদিনায় এক যুবক আমার শরীর স্পর্শ করেছিল। তখন আমার বয়স ছিল ১৫। আর লোকটির বয়স হবে বিশের কোঠায়। আমি ভেবেছিলাম মদিনা একটি নিরাপদ নগরী। কিন্তু আমি আসলে ভুল জানতাম। আমি এ ঘটনা কখনোই ভুলবো না এবং ক্ষমা করতে পারবো না।\" ইরানের অনেক নারী এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছেন যে হিজাব পরলে সেটা তাদের যৌন হামলা থেকে সুরক্ষা দেয়। ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। ইরানের অনেক শহরে এমন পোস্টার সাঁটা আছে যেখানে পর্দা বিহিন নারীকে মোড়ক খোলা ক্যান্ডি বা ললিপপের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা মাছি আকর্ষণ করছে। ইরানের প্রায় সব সরকারি অফিস বা ভবনে এরকম একটি শ্লোগান লেখা আছে, \"হিজাব কোন বিধিনিষেধের সীমা নয়, এটি আপনার সুরক্ষা।\" Iran's hijab protests: The Girls of Revolution Street সম্প্রতি ইরানে বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু হয়, তাতে অংশ নেয়ায় ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তেহরানে এক নারী প্রকাশ্যে তার মাথার হিজাব খুলে ফেলে এই প্রতিবাদ শুরু করেন। এটির নাম দেয়া হয়েছে 'দ্য গার্লস অব রেভ্যুলেশন স্ট্রীট'। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মস্ক-মি-টু'র বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন অনেকে। তারা মার্কিন লেখিকা মোনা এলতাহাউইর সমালোচনা করছেন এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু জন্য।", "doc2": "#MosqueMeToo həştəqini yaradan Misir-ABŞ feminist fəalı və jurnalist Mona Eltahavi Həcc ziyarəti zamanı cinsi zəmində təhqir edilməsini ilk olaraq 2013-cü ildə bildirmişdi. Ötən gündən başlayaraq, həmin həştəqdən müsəlman kişi və qadınlar istifadə etməyə başlayıb və nəticədə, 24 saatdan da az bir müddətdə həmin həştəq 2000 dəfə tvitlənib. Farsdilli Twitter-də bu həştəq on aparıcı trenddən birinə çevrilib. Təcrübələrini Twitter-də bölüşən qadınların çoxu əlləndiklərini, yersiz tərzdə onlara toxunulduğunu və ya izdihamda onlara sürtülmələr olduğunu bildirblər. Təxminlərə görə, hər il iki milyonadək müsəlman Həcc ziyarətində iştirak edir və nəticədə, müqəddəs Məkkə şəhərində nəhəng izdiham yaranır. İslam dininin söykəndiyi əsaslardan biri qadının təvazökarlığıdır: qadınlara ictimai yerlərdə bədən və saçlarını örtmək və kişilərin diqqətini özünə cəlb etməmək, özlərini şərdən qorumaq tövsiyə edilir. Müsəlman qadınlarına gənc yaşlarından hicab geyinmək tövsiyə edilir ki, həmin hicab onları mümkün təhqir və təqibdən qorusun. Bir çoxları hesab edir ki, qadının əyin-başı, onun haralara getdiyi və nələrlə məşğul olduğu təhqir edilməsinə səbəb olar və bundan irəli gələrək, iddia edilir ki, qadının təhqir olub-olunmaması həmin qadının özündən asılıdır. İran, Səudiyyə Ərəbistanı, Misir və Əfqanıstan kimi ölkələrdə bir çox qadın təvazökar geyim geyinsə də, küçədə cinsi zəmində təqib-təhqirə məruz qaldıqlarını bildirir. #MosqueMeToo həştəqini dəstəkləyənlər qeyd edir ki, hətta müqəddəs yerlərdə başdan-ayağa hicaba bağlı geyimdə olan və dua edən qadınlar da təhqir oluna bilər. Twitter şəbəkəsində bir çox iranlı və farsdilli istifadəçi təcrübələrini bölüşməklə yanaşı eyni zamanda hicabın cinsi zəmində təhqir-təqibdən qoruduğu iddiasını da sual altına alıblar. İranda hicab geymək məcburidir İranda hər bir dövlət idarəsi və binası üzərində belə bir məzmunda şüara rast gəlmək olar: \"Hicab məhdudiyyət deyil, hicab sənin himayəndir\". Son bir neçə həftədə İranda hicabın məcburi olaraq geyinilməsinə etiraz edənlərdən 29 nəfəri rəsmilər həbs edib. \"İniqlab prospektinin qızları\" adı verilmiş bu hərəkat Tehranın mərkəzində bir qadın, hicabını çıxarıb bayraq kimi cubuqda dalğalandırdıqdan sonra başlayıb. Twitter-də #MosqueMeToo həştəqinin yaradılması istifadəçilərinin heç də hamısının ürəyincə olmayıb, bəzi istifadəçilər Mona Eltahavini, bu mövzunu sosial şəbəkəyə gətirdiyinə görə tənqid edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54067746", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50892616", "doc1": "জামাল খাসোগজি: নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ২০১৮ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট আটজনকে বিভিন্ন দেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছিল। তবে কৌঁসুলিরা বলছেন, সাংবাদিক খাসোগজির পরিবার তাদের ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে জামাল খাসোগজির বান্ধবী এই সাজাকে 'বিচারের নামে তামাশা' বলে বর্ণনা করেছেন। সৌদি সরকারের একজন সমালোচক জামাল খাসোগজিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে হত্যা করে একদল সৌদি এজেন্ট। সৌদি আরবের সরকার বলেছে, একটি 'বেপরোয়া অভিযানে' ওই সাংবাদিক খুন হন। পরের বছর ১১ জন ব্যক্তিকে বিচারের জন্য অভিযুক্ত করে সৌদি কৌঁসুলিরা, যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে সেই বিচার প্রক্রিয়াকে সেই সময় 'ন্যায়বিচার বিরোধী' বর্ণনা করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ার অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। তিনি বলেছিলেন, খাসোগজিকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সুপরিকল্পিত খুন' , যার জন্য সৌদি আরব রাষ্ট্র দায়ী। মিজ ক্যালামার্ড বলেছিলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দায়ী, যাদের মধ্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও রয়েছেন। তবে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নাকচ করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাসোগজি হত্যার অভিযোগে অনুপস্থিতিতেই যুবরাজের সাবেক দুই সহকারীকে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুরস্কে আরও ১৮ জনের বিচার চলছে। আরো পড়ুন: 'জামাল খাসোগজিকে খুন করে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে' সৌদি আরবের সাথে কী 'চাল' চালছে তুরস্ক? খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই তুরস্কে খাসোগজি হত্যার বিচার শুরু জামাল খাসোগজিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল যেভাবে জামাল খাসোগজি নিহত হন ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাসোগজি ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। তাকে ২০১৮ সালের দোসরা অক্টোবর সর্বশেষ তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেয়া যায়। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তার তুর্কী বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে। বলা হয়, সেখানে মিস্টার খাসোগজিকে হত্যার সময়ের কথাবার্তা গোপনে রেকর্ড করেছিল তুর্কী গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রেকর্ডিং শুনে জাতিসংঘ কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ড মন্তব্য করেছিলেন, মিস্টার খাসোগজিকে সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তবে সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। সৌদি আরবের ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান শালান গত বছরের নভেম্বরে বলেছিলেন, এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল জামাল খাসোগজির সঙ্গে আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে পাঠানো একটি দলের নেতার কাছ থেকে। এই দলটিকে সেখানে পাঠান সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান। মিস্টার খাসোগজিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বা দরকার হলে জোর করে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছিল এই দলটিকে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন আমীর ঘোষণার খবর, সত্যতা নিয়ে সংশয় চীনের সাথে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কতটুকু ভারতের মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী ? ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে নিয়ে কেন এতো মাতামাতি? খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ, অক্টোবর ৮, ২০১৮ তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, কনস্যুলেটের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর মিস্টার খাসোগজির শরীরে ইনজেকশন দিয়ে বেশি মাত্রায় ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়, এর ফলেই তিনি মারা যান। এরপর তার শরীর খণ্ড-বিখন্ড করে স্থানীয় এক 'দালালের' হাতে তুলে দেয়া হয়। এখনো পর্যন্ত জামাল খাসোগজির দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তুরস্কের কৌঁসুলিরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কনস্যুলেটে প্রবেশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জামাল খাসোগজিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং তার দেহ ধ্বংস করে ফেলা হয়। সৌদি আরবে এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত জানুয়ারিতে এই ঘটনায় রিয়াদের এক ফৌজদারি আদালতে ১১ ব্যক্তির বিচার শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এদের মধ্যে হত্যা করা এবং হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। 'হত্যার তথ্য গোপন এবং আইন ভঙ্গের অভিযোগে' অন্যদের ২৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনজন ব্যক্তির দোষ প্রমাণিত হয়নি, যাদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-প্রধান আহমেদ আসিরি। যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগী সাউদ আল-কাহতানির বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়, কিন্তু তার অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জাতিসংঘ বলছে, খাসোগজি হত্যায় তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা তদন্তের পেছনে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সাজা কেন পরিবর্তন করা হলো? গত মে মাসে, জামাল খাসোগজির ছেলে সালাহ মোহাম্মদ ঘোষণা করেন যে, তার পিতাকে যারা হত্যা করেছেন, তাদের তিনি তিনি এবং তার ভাই ক্ষমা করে দিয়েছেন। তারা মেনে নিয়েছেন যে, ওই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। সোমবার সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, রিয়াদের আদালত মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে ২০ বছর ক রে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে ১০ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে এই সাজাই চূড়ান্ত। এর মাধ্যমে সৌদি আরবে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমও শেষ হলো। তবে জামাল খাসোগজির বান্ধবী হেতিস চেঙ্গিস একটি বিবৃতিতে বলছেন, সৌদি আরবে যে রায় দেয়া হলো, সেটার মাধ্যমে আবারো বিচার নিয়ে তামাশা করা হলো। মিজ ক্যালামার্ড বলেছেন, সাজা হলেও যা ঘটেছে, তা মুছে যাবে না। ''বিচারের নামে প্রহসনের আরেকটি ঘটনার আয়োজন করেছে সৌদি কৌঁসুলিরা। কিন্তু এই সাজার কোন আইনি বা নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। এমন একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এটা হয়েছে, যা ন্যায্য বা স্বচ্ছ নয়।'' তিনি একটি টুইটে বলেছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আবারো আহবান জানিয়েছেন মিজ ক্যালামার্ড।", "doc2": "Hökumətin tanınmış tənqidçisi olan Kaşıkçı, Səudiyyə xəfiyyələrinin bir qrupu tərəfindən Səudiyyə Ərəbistanının İstanbuldakı konsulluğunda ötən il qətlə yetirilmişdi. Səudiyyə prokuroru adları açıqlanmayan 11 nəfərin məhkəməyə cəlb olunduğunu bildirərək, bunun \"icazəsiz əməliyyat\" olduğunu deyib. Bundan əvvəl isə, BMT mütəxəssisi Kaşıkçının İstanbulda qətlini \"sanksiyasız edam\" kimi qiymətləndirib. BMT-nin xüsusi məruzəçisi Agnes Callamard qətllə bağlı vəliəhd Məhəmməd ibn Salmanın araşdırılmasına çağırıb. Məhəmməd ibn Salman işə hər hansı aidiyyəti olmadığını deyib, lakin oktyabr ayında o, Səudiyyə lideri kimi tam məsuliyyəti öz üzərinə götürdüyünü bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50541713", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50453375", "doc1": "এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে সেগুলোকে আপনি গোলাকৃতির আদুরে বল মনে করলেও তাদের এই আকৃতি আসলে প্রকৃতিতে তাদের টিকে থাকতে সহায়তা করে। প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোলগাল কয়েকটি প্রাণীর তালিকা দেয়া হলো এখানে। রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ পাফার ফিশ/ পটকা মাছ আমাদের তালিকার শুরেুতেই রয়েছে পাফার ফিশ পরিবার (টেট্রাওডোনটিডায়ে), যারা পটকা মাছ নামেও পরিচিত। এই গোলাকার মাছ আত্মরক্ষার্থে বলের মত বৃত্তাকার আকার ধারণ করতে পারে। নিজেদের ইলাস্টিকের মত পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবেশ করিয়ে তারা এই আকৃতি ধারণ করতে পারে। এর ফলে তাদেরকে খুবই কম আকর্ষণীয় মনে হয়, সেসময় এই মাছের আকৃতি দেখে মনে হয় যে এটি খেতেও কঠিন। বল আকৃতির এই মাছগুলো দেখতে ভাল লাগেও এটিকে ছোঁয়া একেবারেই উচিত নয়। দুইশো'রও বেশি জাতের পটকা মাছের অধিকাংশের মধ্যেই টেট্রোডোটক্সিন নামের এক ধরনের বিষ রয়েছে, যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। আরমাডিলোরা 'আরমার' বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ আরমাডিলো স্প্যানিশ ভাষায় আরমাডিলো শব্দের অর্থ 'বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী।' পৃথিবীতে মোট ২১ ধরণের আরমাডিলো রয়েছে যাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রটির নাম 'গোলাপী পরী আরমাডিলো' (ক্ল্যামিফোরাস ট্রাঙ্ক্যাটাস), যার দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে হয়। আরমাডিলোরা দিনে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। এছাড়া প্রাণী হিসেবে তাদের যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতনও বলতে পারেন। লাল, হলুদ, কালো, গোলাপী - এমন নানা রঙয়ের আরমাডিলো হয়ে থাকে। প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে টওনি আওল/পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাওয়া সাধারণ প্যাঁচাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির প্যাঁচা হলো টওনি আওল বা পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা। এই প্যঁচাগুলোর নরম, গোলাকার মাথা থাকে যেটি তারা ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে পারে। প্রজননের সময় এই ধরণের পুরুষ প্যাঁচা শুরুতে স্ত্রী প্যাঁচাকে দীর্ঘ 'হুউউ' ডাকে ডাক দেয়। এরপর অপেক্ষাকৃত কম দীর্ঘ 'হু' এবং সবশেশে 'হুহুহোওওওও' ডাক দিয়ে শেষ করে। জবাবে স্ত্রী প্যাঁচা 'কী-উইক' ডাকে জবাব দেয়। দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে সিল সিল সাধারণত একা থাকলেও প্রজননের মৌসুমে একত্রিত হয়। এই বৃত্তাকার মাছ গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে। তবে কখনো কখনো তারা ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও সাঁতারাতে সক্ষম হয়। এই ধরণের সিল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয় হেজহগ হেজহগ অনেকটা সজারুর মত দেখতে একটি প্রাণী, নিজেকে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এর পিঠে অনেকগুলো কাঁটার মত থাকে। বৃত্তাকার হওয়ায় শরীরের কাঁটামুক্ত অংশগুলো রক্ষা করতে সুবিধা হয় এর জন্য। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় ১৫ ধরণের হেজহগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবকটিই নিশাচর।", "doc2": "Bu məxluqun yumruluğu zərurətdən doğub Onların yumruluğu göz oxşamaqla yanaşı bu heyvanlara onları əhatə edən vəhşi təbiət mühitində təhlükələrdən qorunmağa kömək edir. Heyvanlar aləminin yumruformalı bəzi nümayəndələrinə burada nəzər salınır. Puffer balığı Bu balıq müdafiə rolunmaq üçün özünü şişirdib. \"Tetraodontidae\" adlanan balıq ailəsinə aid edilən bu balıqlara ingiliscə \"pufferfish\" və ya \"blowfish\" də deyilir. Həyatları üçün təhlükə yaranan anlarda bu balıqlar özlərini müdafiə etmək üçün bədənlərini şişirdib top şəklinə salırlar. Balıq buna elastik mədəsinə böyük həcmdə su yığmaqla nail olur - nəticədə, digər balıqlar üçün bu topabənzər balığı udmaq çətin bir məsələyə çevrilir. Bu balıqlar məzəli görünsə də, onlara toxunmaq olmaz. Çünki bu balıqların 200-dən çox növündə sianiddən 1200 dəfə daha çox zəhərli olan tetrodotoksin adlı neyrotoksin var. Bu balıqların bəzilərinin isə dərisi tikanlarla doludur. Buna baxmayaraq, Asiya restoranlarında bu balıqdan lzzətli delikateslər hazırlanır. Zirehlilər Armadillo özünü \"zirehə\" bürüyə bilir \"Armadillo\" ispanca \"kiçik zirehlili\" deməkdir . Bu heyvanların 21 növü mövcuddur, onlardan ən xırdasının çəmi 9-12 sm uzunluğu var. Zirehlilər günün böyük hissəsini yuxulayır, ümumilikdə gündə təxminən 16 saat yatırlar. Armadillos, yuxulu dairələrdir və gündə təxminən 16 saat yatırlar. Onların rəngi çox vaxt qırmızı, sarı, boz, qara və çəhrayı çalarlarda olur. Adi yapalaq Yapalaqca bayquşlar cütləşmə mövsümündə erkək və dişi quşdan ibarət duet halında səs çıxarırlar Adi yapalaq və ya kürən bayquş (Strix aluco) məskəni Britaniyada olan yerli bayquşların ən irisidir. Onlar tüklü, dəyirmi başını 270 dərəcəyədək döndərə bilir və bu xüsusiyyət bu quşlara ov ovlamaqda kömək edir. Cütləşmə mövsümündə erkək bayquş adətən çağırış mahnısını uzun bir \"hoooo\" səsi çıxarmaqla başlayır, sonra yumşaq \"hu\" ilə savam edir və \"huhuhooooo\" ilə bitirir. Dişi bayquş erkək quşun çağırış mahnısına \"Kee-uick\" səsi çıxarıraraq cavab verir və cütlük duet yaradır. Halqaşəkilli suiti Halqaşəkilli suitilər sıçrayış zamanı 30 km/saat sürətlə hərəkət edirlər Suitiləri arasında ən kiçikölçülü növ Halqaşəkilli sitiləridir. Halqaşəkilli suitiləri tənha yaşamağı üstünlük verir və yalnız cütləşmə dövrlərində bir araya gəlirlər. Bu yuvarlaq suitilər orta hesabla 10 km/saat sürətlə üzürlər, lakin sıçrayış edərkən 30 km/saat sürətə çata bilərlər. Halqaşəkilli suitilər orta hesabla 25-30 il yaşayır. Kirpi Kirpi özünü qorumaq üçün təhlükəli anlarda bədənini top halına salır. Kirpilər yırtıcılardan qorunmaq üçün özlərini tikanlı top şəklinə yığır. Yumru top formasına yığılmaq kirpilərə bədənlərinin tikansız hissəsini qorumağa imkan verir. Avropa, Asiya və Afrikada 15 növ kirpi var, onların hamısı gecə həyatı sürürür."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50051615", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-50017601", "doc1": "আইন ইসা শহরের প্রবেশ করেছে সিরিয় সরকারি বাহিনী এর বাইরে দ্রুত একটি যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা সফরে যাবেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরিয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়ত দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী। কী বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়? ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, \"তুরস্কের সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ঐ অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে।\" যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে। এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যপারে একমত হয়েছেন। জবাবে তুরস্ক বলেছে, 'বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক' আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করবে দেশটি। সিরিয়ায় কী হচ্ছে? সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে পৌঁছে গেছে। মানবিজ শহরের যে এলাকায় তুর্কীরা নিজেদের জন্য সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চায় সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরিয় বাহিনী। তুর্কি বাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরিয় মিলিশিয়া বাহিনী শহরের কাছে জড়ো হয়েছে। এদিকে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে চুক্তিটিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য একটি অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা ২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম তার সৈন্যরা ওই এলাকাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে এক হাজার মার্কিন সৈন্য যুক্তরাষ্ট্র সরিয়ে নেবার ঘোষণা দেবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাহিনী মোতায়েন করা হলো। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি যে নয়টি খাতে পিছিয়েছে বিজেপিকে মুচলেকা দিয়েই কি বোর্ড সভাপতি সৌরভ? কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ভাল লেখক হওয়ার জন্য মানতে হবে যে সাতটি টিপস ৫০ বছরে যত্নে গড়া লাইব্রেরি যখন বোঝা", "doc2": "ABŞ prezidenti Donald Trump, həmçinin öz türkiyəli həmkarı Recep Tayyip Erdoğana zəng edərək dərhal anlaşmaya getməyi tələb edib, ABŞ-ın vitse-prezidenti Mike Pence bildirib. Cənab Pence deyib ki, \"o, mümkün olduğu qədər tezliklə regiona səfər etmək istəyir\". Suriya ordusu bir qədər əvvəl Suriyanın şimal-şərqinə girib. Bu, Türkiyə qüvvələri ilə qarşılaşmaya gətirib çıxara bilər. Suriya ordusunun yerləşdirilməsi ötən həftəyə qədər ABŞ-ın müttəfiqi sayılan kürdlərin nəzarətindəki qüvvələrlə olan anlaşmaya əsasən həyata keçirilib. Türkiyə tərəfi bəyan edib ki, onun Suriyanın şimal-şərqinə müdaxilə məqsədi kürd qüvvələrini sərhəddən uzaqlaşdırmaq və Ankara hökumətinin \"təhlükəsiz bölgə\" kimi təsvir etdiyi ərazini yaratmaqdır. \"Təhlükəsiz bölgə\" təxminən Suriyaya qədər 30 kilometr ərazini əhatə edir. Türkiyə öz ərazisində yerləşmiş iki milyona qədər Suriya qaçqınını bu əraziyə köçürmək istəyir. Onların çoxu kürd deyil və tənqidçilər xəbərdarlıq edirlər ki, bu, yerli kürd xalqının etnik təmizləməsi ola bilər. ABŞ-ın sanksiyası nəyi nəzərdə tutur? Bazar ertəsi Washingtonda jurnalistlərə müsahibə verən ABŞ maliyyə naziri Steven Mnuchin sanksiyanın \"çox güclü\" olduğunu və Türkiyə iqtisadiyyatı üzərində ağır təsirləri ola biləcəyini vurğulayıb. ABŞ Maliyyə Nazirliyi Türkiyənin müdafiə və enerji nazirliklərinə və müdaifə, enerji və daxili işlər nazirlərinə qarşı nəzərdə tutulan bəyanatı nəşr edib. \"Türkiyə hökumətinin fəaliyyəti günahsız mülki insanları təhlükəyə atır, həmçinin regionun sabitliyini pozur, üstəlik, İŞİD-i (İraq Şam İslam Dövləti) məğlub etmək kampaniyasına xələl gətirir\", bəyanatda deyilir. Cənab Mnuchin və vitse-prezident Pence sanksiyaların \"Türkiyənin atəşkəsi dərhal elan etməsə, zorakılığı dayandırmasa və Türkiyə ilə Suriya arasındakı sərhəd boyu problemin uzun müddətli həlli razılaşdırılmayana qədər davam edəcəyini və pisləşəcəyini\" bildiriblər. Mike Pence bildirib ki, bunu Türkiyə prezidenti ilə telefon danışığında cənab Trump da təkrarlayıb. Vitse-prezident təkrar edib ki, ABŞ \"Türkiyəyə Suriyaya girmək üçün yaşıl işıq yandırmayıb\". ABŞ daha əvvəl bildirmişdi ki, \"Türkiyənin Suriyaya qəbuledilməz müdaxiləsi ələ keçirilmiş bir çox İŞİD döyüşçüsünün azadlığa buraxılmasına səbəb olub. Bazar ertəsi günü Avropa İttifaqı (Aİ) ölkələri Türkiyəyə silah ixracını dayandırmağı öhdəsinə götürüblər, AB-nin geniş yaydığı silah embarqosunu dayandırıblar. Buna cavab olaraq Türkiyə, \"qanunsuz və qərəzli\" münasibətə görə Aİ ilə əməkdaşlığını araşdıracağını söyləyib. Bəs sözügedən ərazidə nə baş verir? Suriya dövlət mediası Rusiyanın dəstəklədiyi hökumət qüvvələrinin Türkiyənin \"təhlükəsiz bölgə\" yaratmaq istədiyi ərazidəki strateji Manbij şəhərinə girdiyini bildirib. Türk qoşunları və müttəfiq Suriya polisi qəsəbə yaxınlığında toplaşıblar. Kürdlər tərəfindən idarə olunan qüvvələrlə anlaşma Suriya prezidenti Bəşər Əsədin qoşunlarının 2012-ci ildən bəri ilk dəfə şimal-şərq bölgələrinə qayıdacağına təkan olaraq görülüb. Suriya qüvvələri ərazidən başqa yerlərdəki üsyançılarla döyüşmək üçün çıxmışdı və ərazinin kürd qüvvələrinin nəzarətinə keçməsinə imkan vermişdi. Özünüidarəetmə cəhdləri ilə razılaşmasa da Bəşər Əsəd xüsusilə kürdlər ABŞ qoşunları ilə birlikdə İŞİD-ə qarşı koalisiya olduğundan onların ələ keçirdiyi ərazini geri almaq istəməmişdi. İŞİD-lə mübarizədən başqa, kürdlər ABŞ, Rusiya və İranın rəqiblərinin təsirini məhdudlaşdırmaqda vacib rol oynayıb. Hələlik Suriya qüvvələri Türkiyənin səylərini cəmləşdirdiyi Tal Abyad və Raselayn arasında yerləşdirilməyəcək. Kürd rəhbərliyindəki rəsmilər siyasi baxımdan məsul olduqlarını və bölgədəki nizam-intizamı qoruyacaqlarını israr ediblər. Cənab Erdoğanın yaxın müttəfiqi olan Rusiya hökuməti Suriyadakı Rusiya və Türkiyə qüvvələrinin toqquşmasından əylənmək istəmədiyini bildirib və Türkiyə rəsmiləri ilə davamlı əlaqədə olduğunu bəyan edib. Birləşmiş Millətlər Təşkilatının hesabatına görə, indiyədək 160 minədək mülki əhali öz yaşayış yerini tərk edib, bu rəqəmin artacağı gözlənilir. Suriyada azı 50 mülki şəxs öldürülüb və 18 nəfər Türkiyə tərəfə keçib. Kürd qüvvələri 56 döyüşçüsünün öldürüldüyünü bildirib, Türkiyə tərəfi isə 4 əsgərinin və 16 Türkiyə tərəfdarı Suriya döyüşçüsünün öldürüldüyünü açıqlayıb. Ötən həftə ABŞ prezidenti Donald Trump Türkiyə prezidenti ilə telefon danışığından sonra Suriyanın şimal-şərqindəki ABŞ qüvvələrini geri çəkib. Bu hərəkət Suriyadakı kürd qruplarının elementlərini Türkiyədə 30 ildir kürd muxtariyyəti uğrunda mübarizə aparan, ölkədə fəaliyyəti qadağan edilmiş PKK-nın bir qolu olaraq görən Türkiyənin bu ərazidə əməliyyatına yol açıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46401724", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-43083986", "doc1": "ভারতে নারীর ১৮ এবং পুরুষের ২১ বছর হলেই তারা বিয়ে করতে পারেন। এই নারী ছেলেটির চেয়ে তিন বছরের বড়। অর্থাৎ তার বয়স এখন ২০। ভারতে অল্পবয়সীকে মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগে পুরুষ স্বামীকে গ্রেফতারের খবর হরহামেশা পাওয়া গেলেও কম বয়সী ছেলেকে বিয়ে করার অভিযোগে কোন নারীকে গ্রেফতারের ঘটনা বিরল। এই দম্পতির একমাত্র কন্যার বয়স পাঁচ মাস। নারীকে গ্রেফতার করার কারণে তাদের বাচ্চাটিও গত দুসপ্তাহ ধরে জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই কিশোরের মায়ের পক্ষ থেকে তাদের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর তারা ওই নারীকে গ্রেফতার করেছেন। আটক নারীর বিরুদ্ধে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যে রায়ের পর নড়েচেড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার দলীয় প্রার্থীদের মাথ্যাব্যথার কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা? সংসদ নির্বাচন: সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে কি? কিন্তু ওই নারী বলেছেন, তাদের দু'জনের সম্মতিতে এই বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রাপ্তবয়স্ক নয়- এই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে ভারতীয় আইনে ছেলে মেয়ে দুজনের ক্ষেত্রেই যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে অনুমতি দিতে তাকে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। আর বিয়ের জন্যে নারীকে হতে হবে ১৮, পুরুষকে ২১। ফলে এই মামলায় অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে শিশু বিবাহ আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের একজন বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, ওই কিশোরের মা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বলেছিলেন যে ওই নারী ও তার পরিবার তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। তিনি জানান, এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।", "doc2": "Krişna Sen (solda) ilk dəfə evləndiyi xanımı ilə (ortada) Hadisə Hindistanın şimalındakı Uttarakhand ştatında çərşənbə günü baş verib. Hindistanda cehiz ənənəsi qanunsuz elan edilib. Sorğu-sual vaxtı qadının kişi olduğu ortaya çıxıb, BBC-ə danışan polis əməkdaşları bildirib. Həmçinin oxuyun: Məlum olub ki, 26 yaşlı Krişna Sen, 2014-cü ildə ilk dəfə evləndikdən bəri kişi qılığında olub. \"Əvvəlcədən Krişnanın dediklərini başa düşmürdük, lakin tibbi müayinədən sonra onun qadın olduğunu öyrəndik\", - polis rəisi Canameyay Xanduri deyib. Toyundan qısa bir müddət keçmiş Sen ilk xanımı ilə ayrıldıqdan sonra, 2017-ci ilin aprel ayında, başqa bir qadınla ailə qurub. Senin arvadının valideynləri cehiz naminə nikaha girən kürəkənləri barədə polisə şikayət ediblər. Onlar həmçinin \"iş qurmaq üçün\" Senə verdikləri 13 min dollardan artıq borcun qaytarılmadığını deyirlər. Cənubi Asiyada cehiz ənənəsi geniş vüsət alıb. Gəlin bəyin ailəsinə pul, geyim və zərgərlik əşyaları verir. Bu ənənə 1961-ci ildə Hindistanda qadağan edilmiş olsa da, hələ də davam edir. Sen polisə müsahibəsində həmişə kişi olmaq istədiyini deyərək müvafiq həyat tərzinə uyğun yaşamaq istədiyini də bildirib. Onunla nikahda olan qadınlar \"ərlərindən\" şübhə etmədiyini deyirlər. Senin özü isə \"xanımları\"nın yanında soyunmadığını və onlarla intim yaxınlığı olmadığını bildirir. Polis əlavə edir ki, evli olduğu müddət ərzində Sen əsasən kişi dostları ilə təmasda olub, kişi ayaqyolundan istıfadə edib və \"kişi səsi\" ilə danışıb. Krişna şəkk-şübhələrə yer qoymamaq üçün bir çox yerli kişilərin vərdişlərini mənimsəyib. O, siqaret çəkib, spirtli içki içib və motosikletlə dolaşıb. Həmçinin izləyin: Sevinirlər 14 yaşlı gəlinə xeyir-dua verirlər"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2015/07/150724_mh_nasa_new_planet", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39066650", "doc1": "নতুন এই গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে কেপলার ফোর-ফাইভ-টু-বি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহটি কেবল আকারের দিক থেকেই নয়, আরও অনেক দিক থেকেই আমাদের পৃথিবীর মত। পৃথিবী যে দূরত্ব থেকে সূর্যকে পরিভ্রমণ করে, এই নতুন গ্রহটির অবস্থানও এর সূর্য থেকে সেই দূরত্বে। ফলে এটি খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে এই গ্রহে পানি থাকার মত উপযোগী পরিবেশ আছে, যা প্রাণের উন্মেষ ঘটার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান। ছয় বছর আগে উৎক্ষেপন করা কেপলার টেলিস্কোপ দিয়ে এই গ্রহটি খুঁজে পাওয়া যায়। কেপলার টেলিস্কোপ এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এরকম অন্তত চার হাজার গ্রহ খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এই নতুন গ্রহ “কেপলার ফোর-ফাইভ-টু-বি”র সঙ্গেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। পৃথিবী থেকে এই গ্রহটি এক হাজার চারশো আলোকবর্ষ দূরে।", "doc2": "Bütün planetlər TRAPPİST-1 ultra-soyuq qırmızı cırtdan ulduzunda aşkar edilib. Ölçüsünə görə Yerlə müqayisə edilən bu planetlər maye halında suyun tapılması üçün yararlıdır. TRAPPİST - 1 ətrafında fırlanan 3 planetdə isə nəzəri olaraq həyat ola bilər. \"İkinci Yerin aşkar edilməsi \"əgər\" deyil, \"nə zaman\" sualını doğurur\", - deyə NASA kosmik agentliyinin direktorunun müavini Thomas Zurbuchen Washingtonda keçirilən mətbuat konfransında bildirib. \"Planetlərin hamisi bir-birinə, ulduzlara çox yaxındırlar və Yupiter ətrafındakı aya bənzəyirlər. Bununla yanaşı ulduz o qədər az və o qədər soyuqdur ki, planetlərdə maye halında suyun və həyatın olması mümkündür\",- deyə NASA-nın digər nümayəndəsi Michael Gieon açıqlayıb. Astronomların danışdıqlarına görə planetlər \"Spitcher\" kosmik teleskopunun köməyilə aşkar edilib. Bundan başqa astronomların fikrincə, bu teleskop vasitəsilə aşkar edilən ən vacib hadisədir. Aşkar edilən 7 planet yerdən 39-40 işıq ili məsafədə yerləşir. \"Bu planetlərə reaktiv təyyarə ilə uçası olsaq, bu səyahət 40 milyon ili əhatə edəcək\", - deyə Baltimordakı Kosmik Tədqiqatlar İnstitunun əməkdaşı Nicol Luis qeyd edib. TRAPPİST planetinin səthi belə görünə bilər (rəssamın təsviri) Bu günə qədər alimlərə \"Yerin əkizi\" sayılan onlarla planet məlumdur. Ulduzların həyat sərhədləri zonasında yerləşən və ehtimalən həyat üçün yararlı olan yer tipli planetlər \"Yerin əkizi\" adlandırılır. Bununla yanaşı alimlər bu planetlərdə həyatın olmasını sübut edəcək faktları əldə edə bilməyiblər. Yeni planetlər barədə məqalə Nature jurnalında dərc olunub. \"TRAPPİST-1 ulduzundan ən uzaqda olan planetdə istiliyi effektiv saxlayan və daha çox Venera atmosferinə bənzəyən atmosfer olsaydı o zaman bu planet həyat üçün yararlı ola bilərdi\", - deyə tədqiqatın müəlliflərindən biri, Cambridge University-nin əməkdaşı Amori Trio BBC-ə açıqlamasında bildirib. Təhlil : David Shukman, BBC-nin elmi məsələlər üzrə şərhçisi Digər planetlər sistemində o qədər planetlər aşkarlanıb ki, onların potensial əhəmiyyətini hiss etməmək də mümkündür. NASA-nın siyahısında artıq 3449 planet var. Lakin buna baxmayaraq son kəşflər əsl mənada insan təxəyyülünü həyəcanlandırır. Məsələ yalnız kəşf edilən planetlərin sayında və ya onların bəzisinin ölçüsünə görə Yerə yaxınlaşmasında da deyil. Burada məsələ ondadır ki, TRAPPİST-1 ulduzu balaca və aydın deyil. Bu isə o deməkdir ki, onun işığı digər ulduzlarda olduğu kimi teleskopa təsir etmir. NASA-nın elan etdiyi yeni kəşflər bu yeni aləmlərin və onların atmosferinin öyrənilməsinin başlanğıcıdır. Bu prossesin növbəti mərhələsi artıq başlanıb. Alimlər bu planetlərin səthində həyatın olduğunu təsvir etmələri üçün orada oksigen və metan kimi qaz izlərinin olub-olmadığını müəyyən etməyə cəhd göstərirlər. Yeni planetlər barədə söhbətlər həmişə yadplanetlilər barədə söhbətləri də yada salır. NASA-nın yeni kəşfi həqiqətəndə yerdən kənarda həyatın olub-olmadığı barədə həqiqətləri ortaya çıxara bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54013894", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-54557177", "doc1": "কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় দুর্নীতি বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি মি. নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক। গত মাসে রাশিয়ার সাইবেরিয়া এলাকা থেকে বিমানে যাত্রার সময় ফ্লাইটের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে বিমানে করে বার্লিনে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এরপর থেকে তিনি কোমায় আছেন। নভিচকের নাম শেষবার খবরে এসেছিল ২০১৮ সালে। তখন ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে রাশিয়ার সাবেক এক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নভিচক বিষ প্রয়োগ করে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মি. নাভালনি এবং এর আগে মি. স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের বিষক্রিয়ায় তাদের কোনরকম ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে। ৬৬ বছর বয়সী সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ৩৩ বছরের ইউলিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজনেই পরে সেরে ওঠেন। নভিচক সামরিক মানের স্নায়ুর ক্ষতিসাধনকারী বিষগুলোর মধ্যে একটি। আমরা কতটুকু জানি এই বিষ সম্পর্কে? এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে রুশ ভাষায় নভিচক নামের মানে ''নবাগত''। ১৯৭০ এবং ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন উচ্চ ক্ষমতার স্নায়ুর ক্ষতিকারক যেসব রাসায়নিক বিষ তৈরি করেছিল এই নভিচক সেই দলে পড়ে। এধরনের বিষ চতুর্থ স্তরের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে পরিচিত এবং 'ফোলিয়েন্ট' এই সাংকেতিক নামের এক সোভিয়েত কর্মসূচির আওতায় এটি তৈরি করা হয়। ড. ভিল মির্জায়ানফ নামে একজন রসায়নবিদ ১৯৯০এর দশকে রুশ সংবাদমাধ্যমে এই নভিচকের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। পরে তিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে প্রকাশ করা 'স্টেট সিক্রেটস' (রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য) নামে তার বইয়ে তিনি নভিচকের রাসায়নিক ফর্মূলা ফাঁস করেন। আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ১৯৯৯ সালে উজবেকিস্তানে যান সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম সর্ববৃহৎ রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ভেঙে ফেলার এবং সেটিকে বিষমুক্ত করার লক্ষ্যে। ড. মির্জায়ানফ জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নভিচক সীমিতভাবে উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করতো। এই রাসায়নিক বিষ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এর উপস্থিতি ধরতে না পারেন। এই গোষ্ঠীভুক্ত রাসায়নিক বিষগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক। ভিএক্স নার্ভএজেন্ট নামে এই জাতের অন্য যেসব রাসায়নিক বিষ রয়েছে, তার থেকে পাঁচ বা আটগুণ বেশি ক্ষতিকারক এই নভিচক বিষ। ''সারিন গ্যাস বা ভিএক্স-এর মত রাসায়নিক বিষের চেয়েও বেশি বিপদজনক এবং বেশি উন্নত মানের বিষ এই নভিচক এবং এটি শনাক্ত করা অনেক বেশি কঠিন,'' বলছেন ব্রিটেনের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গ্যারি স্টিফেন্স। নভিচক বিষের প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়? নভিচকের বিষক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হয় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত রয়েছে। ড. ভিল মির্জায়ানফ বলছেন, এটা অনেক মাস ধরে স্থায়ী হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির উগলেফ, যিনি দাবি করেন স্ক্রিপাল পরিবারকে যে নভিচক বিষ দেয়া হয়েছিল সেটির উদ্ভাবক তিনি, তার মতে এই বিষ \"খুবই স্থিতিশীল''। অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাসায়নিক বিষ টেকসই ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এটির বিষক্রিয়া বেশ কয়েকমাস এমনকী কয়েক বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে যদি এই বিষ কোন পাত্রের ভেতর মজুত রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষমতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। ''স্নায়ুর এই বিষ নভিচক, উবে যায় না। এটি পানির মধ্যেও মিশে যায় না অর্থাৎ পানিতে মিশলেও এর গঠন বদলায় না,'' বলেছেন লন্ডনে ইউনিভার্সিটি কলেজের রসায়নের অধ্যাপক অ্যানড্রিয়া সেলা। একটা সমস্যা হল নভিচক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কম এবং স্নায়ু ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক বিষের চাইতে এই বিষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কম। এছাড়াও এই বিষ কতদিন শরীরে কাজ করে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি 'নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কিম জং নাম-কে' নভিচক দেখতে কেমন? কিছু কিছু নভিচক তরল পদার্থ, আবার নভিচক কঠিন পদার্থ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে নভিচক ব্যবহার করা হয় অতি সূক্ষ্ম পাউডার হিসাবে। কিছু নভিচক এমন ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়, যেখানে বিষটি রাখা হয় দুটি অপেক্ষাকৃত কম বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান হিসাবে। এতে বিষটি মজুত রাখা, পরিবহন করা বা এটি ব্যবহার করার সময় এটা কম বিষাক্ত থাকে, এবং যারা বিষটি নিয়ে কাজ করছে তাদের জন্য এটা ক্ষতিকর হয় না। কিন্তু প্রয়োগ করার পর এর বিষ পুরো মাত্রায় কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে যেখানে সের্গেই ও ইউলিয়া স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেখানে তদন্তের কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষটি প্রয়োগ করা হলে দুটি উপাদান মিশ্রিত হয়ে পুরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ''এধরনের রাসায়নিক বিষ তৈরি করা সহজ, কারণ যেসব উপাদান দিয়ে এটা তৈরি হয় সেসব উপাদান নিষিদ্ধ নয়,'' বলছেন অধ্যাপক স্টিফেনস। কয়েকটি নভিচক খুব দ্রুত কাজ করতে পারে অন্যান্য রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত ও মারাত্মক নভিচক। কাজেই কোন কোন জাতের নভিচক খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে - প্রয়োগের ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিটের মধ্যে। এই বিষ শরীরে কাজ করে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে বা নি:শ্বাসের মাধ্যমে সেটা শরীরে ঢুকলে। চামড়ার মধ্যে দিয়েও এই বিষ শরীরে ঢুকতে পারে। এর উপসর্গ অন্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই নভিচক বিষ কাজ করে অন্যান্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই। এই বিষ মস্তিষ্ক থেকে শরীরের মাংসপেশীতে বার্তাবাহী স্নায়ুগুলোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন বহু স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ড. মির্জায়ানফ বলেছেন, এই বিষক্রিয়ার প্রথম উপসর্গ হল চোখের মণি ছোট হয়ে চোখে অন্ধকার দেখা। বিষের পরিমাণ বেশি হলে খিঁচুনি হতে পারে এবং নি:শ্বাসের কষ্ট দেখা দিতে পারে, তিনি বলেন। ''এরপরই শুরু হয় ঘন ঘন খিঁচুনি এবং বমি এবং তারপর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।'' গত মাসে সন্দেহভাজন বিষ প্রয়োগের পর থেকে আলেক্সেই নাভালনি কোমায় রয়েছেন। ড. মির্জায়ানফ বলছেন, এই বিষক্রিয়া থামানোর জন্য ওষুধ হিসাবে অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাথিন ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলো ব্যবহার করে রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় না। কেউ যদি এই রাসায়নিক বিষের সংস্পর্শে আসে তার কাপড়চোপড় সব খুলে দিতে হয় এবং সাবান ও পানি দিয়ে তার চামড়া পুরো পরিষ্কার করতে হয়। তার চোখও ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হয় এবং তাকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করতে হয়। আর কেউ নভিচক তৈরি করেছে? ড. মির্জায়ানফ বলছেন, ''রাশিয়া যেহেতু এই নভিচক বিষ উদ্ভাবন করেছে, রাশিয়ারই এই রাসায়নিক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং রাশিয়া এই বিষকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে বিষাক্ত অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া রাশিয়া পুরো আয়ত করেছে।'' জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সোভিয়েত আমলে উদ্ভাবিত এই স্নায়ুর ক্ষতিকারক বিষ তৈরি দেশটি ১৯৯২ সালে বন্ধ করে দিয়েছে, এবং যা মজুত ছিল তার পুরোটাই ২০১৭ সালে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭য় রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ নিশ্চিত করে যে রাশিয়ায় মজুত ৩৯,৯৬৭ টন রাসায়নিক অস্ত্র পুরো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নভিচক রাসায়নিক বিষের কথা কখনও ওই সংস্থাকে সরকারিভাবে জানানো হয়নি। এবং যে রাসায়নিক দিয়ে নভিচক জাতীয় বিষ তৈরি করা হয়েছে তা কখনও নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়নি, কারণ এগুলোর রাসায়নিক গঠনপ্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি, বলেছেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেস্টেয়ার হে।", "doc2": "Rusiya Federal Təhlükəsizlik Xidməti direktoru Aleksandr Bortnikov və Prezident Administrasiyası rəhbərinin birinci müavini Sergey Kiriyenko Sanksiya siyahısına daxil olunmuş rəsmilər arasında Rusiya Federal Təhlükəsizlik Xidməti direktoru Aleksandr Bortnikov və Prezident Administrasiyası rəhbərinin birinci müavini Sergey Kiriyenko var. Rusiya cavab addım atacağını söz verib. Fərdi sanksiyalar həmçinin Prezidentin Daxili Siyasət Şöbəsinin müdiri Andrey Yarin, Müdafiə Nazirinin müavinləri Aleksey Krivoruçko və Pavel Popov, həmçinin Sibir federal dairəsində prezidentin nümayəndəsi Sergey Menyayloya qarşı tətbiq edilib. Bu barədə cümə axşamı günü Avropa İttifaqının \"Rəsmi jurnalında\" dərc olunmuş Aİ Şurasının qərarında deyilir. Bir gün əvvəl New York Times qəzetinin mənbələri məhz bu şəxslərə sanksiya tətbiq ediləcəyini qeyd etmişdilər. Sanksiya siyahısına Novichok adlı maddənin yaradıldığı yer hesab edilən Rusiya Dövlət Üzvi Kimya və Texnologiya Elmi-Tədqiqat İnstitutu da (GosNIIOKT) daxil edilib. Almaniya, Fransa və İsveç mütəxəssislərinin fikrincə, rusiyalı müxalifətçi Aleksey Navalnını Noviçok qrupuna aid olan kimyəvi maddə ilə zəhərləyiblər. Sanksiyalar Aİ ərazisinə giriş qadağası və maliyyə aktivlərinin dondurulmasını nəzərdə tutur. Bu həftənin əvvəlində 27 Aİ ölkəsinin xarici işlər nazirləri Navalnının zəhərlənməsi ilə əlaqədar Rusiyaya qarşı sanksiyalar tətbiq etmək qərarını veriblər. Aİ Şurası öz qərarında Navalnını tanınmış Rusiya müxalifət lideri adlandırır və onun sinir-iflicedici maddə ilə zəhərləndirildiyini qeyd edir. Bunu Bundesverin ixtisaslaşmış bir laboratoriyası təyin edib. \"Kimyəvi silahların yayılması və istifadəsi ilə bağlı davam edən təhlükəni nəzərə alaraq, altı fiziki şəxs və bir hüquqi şəxs sanksiya siyahısına daxil edilməlidir,\" - qərarda deyilir. Rusiyanın cavabı Rusiya xarici işlər naziri Sergey Lavrov gözlənilən sanksiyalara Moskvanın eyniliklə cavab verəcəyini vəd etmişdi. \"Bütün beynəlxalq hüquqi öhdəliklərə baxmayaraq almanlar heç bir fakt təqdim etmək niyyətində deyil. Biz eyni cavab veririk, bu diplomatik praktikadır,\" - nazir Rusiya radiostansiyalarına müsahibəsində bildirib. \"Almanlardan Navalnının analizlərinin nəticəsini göstərmələrini xahiş edəndə onlar sual verir ki, bizə inanmırsınız?\" - Lavrov deyib. Rusiya hakimiyyəti mütəmadi olaraq Almaniyanı Navalnı ilə bağlı məlumatın verilməsi müraciətlərinə cavab verməməkdə günahlandırır. Berlin bu qınaqları əsassız sayır. Prezident Vladimir Putinin tənqidçisi olan Aleksey Navalnı avqust ayında Tomsk şəhərindən Moskvaya qayıdarkən təyyarədə halı pisləşib və o, xəstəxanaya aparılıb. Günlər sonra o, müalicə üçün Berlinə aparılıb. Almaniya onun Noviçok sinir agenti ilə zəhərləndiyini bildirib. Rusiya bu işlə bağlı hansısa əlaqəsi olduğunu təkzib edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51178278", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-51160787", "doc1": "এখনও পর্যন্ত ৬ ধরনের করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানা গেছে। এক কোটিরও বেশি মানুষের শহর উহানে নতুন করে ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানী বেইজিং-এ আক্রান্ত হয়েছে আরো দুজন এবং শেনঝেনে এখনও পর্যন্ত একজন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ জনে। এর মধ্যে তিনজন মারাও গেছেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চাইতেও অনেক বেশি। তাদের ধারণা প্রায় ১,৭০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসটির নাম করোনাভাইরাস। লোকজন এই ভাইরাসে এমন এক সময়ে আক্রান্ত হচ্ছে যখন চীনে নতুন বছরে উদযাপনের জন্যে লাখ লাখ মানুষ ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বছরের এই সময়ে তারা এক সপ্তাহের মতো ছুটি কাটায় যখন তারা নিজেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের কাছে বেড়াতে যায়। একারণে এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চীনে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভাইরাসটি প্রতিরোধ-যোগ্য এবং একে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। কর্মকর্তারা বলছেন, যারাই উহান শহর ছেড়ে অন্যান্য শহরে যাবে তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে চীনের উহান শহরে। কখন থেকে শুরু স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বর মাসে উহানে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করেছিলেন। তারা বলছেন, এটি করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি। এই ভাইরাসের ফলে লোকজন নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের এই ধরনটি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি। ধারণা করা হয় যে একটি বাজার থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে কিন্তু এটি ঠিক কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা এখনও সেটা নিশ্চিত করতে পারেন নি। চীনের বাইরে আরো তিনটি দেশেও এই ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। দেশগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং জাপান। নতুন এই ভাইরাসের প্রকোপ সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সার্স ভাইরাসও এক ধরনের করোনাভাইরাস। ২০০০ সহস্রাব্দের শুরুর দিকে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জন নিহত হয়ে যাচ্ছে। মূলত এশিয়ারই বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর সাথে সার্স ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: রহস্যময় ভাইরাস আরো ছড়িয়েছে, বাংলাদেশে সতর্কতা স্বাস্থ্য: হৃদরোগ ঠেকাতে খাদ্যভ্যাসে ৫টি পরিবর্তন ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে সেরা আবিষ্কারসমূহ ধারণা করা হয় এই সি ফুডের বাজার থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। কর্মকর্তারা এই ধারণা পরীক্ষা করে দেখছেন। আমরা কী জানি উৎস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো পড়তে পারেন: হাসিনার গাড়িবহরে গুলির ঘটনায় ৫ পুলিশের ফাঁসি রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ ছাড়া উপায় ছিল না: প্রিন্স হ্যারি জাস্টিন ট্রুডোর দাড়ি এবং দাড়ি-র রাজনীতি", "doc2": "Təsdiqlənmiş yoluxma hallarının ümumi sayı 200-dən artıqdır və üç nəfərin tənəffüs yollarının xəstəliyindən öldüyü bildirilib. Sətəlcəm kimi başlayan bu virus barədə çox şey məlum deyil. O \"yeni koronavirus kimi görünsə də, ötürülmə potensialı və şəkli hələ də naməlumdur\", Azərbaycan Səhiyyə Nazirliyinin cümə axşamı günü yaydığı məlumatında deyilir. Yeni virusun genetik kodunun təhlili, onun digər insan koronaviruslarına nisbətən Sars ilə daha yaxından əlaqəli olduğunu göstərir. Yeni virusun yayıldığı bölgələrə səfər edənlər nə etməlidir? Azərbaycanın səhiyyə rəsmiləri və Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) kəskin respirator xəstəlik riskini azaltmaq üçün bır sıra tövsiyələr verib: Riski azaltmaq üçün nə etməli: • Kəskin respirator xəstəliklərdən əziyyət çəkən insanlarla yaxın təmasda olmamaq; • Əlləri mütəmadi yumaq, xüsusilə xəstə insanlar və onların ətraf mühiti ilə birbaşa təmasdan sonra; • Canlı və ya ölü ferma, yaxud da vəhşi heyvanlarla yaxın təmasdan çəkinmək; • Kəskin respirator infeksiyanın simptomlarını daşıyan sərnişinlər öskürərkən məsafə saxlamalı, öskürərkən və asqırarkən ağızlarını birdəfəlik istifadə üçün dəsmalla bağlamalı, əllərini yumalıdırlar. Virusun yayılması barədə nə bilinir? Virusun Yuhan şəhərindən Çinin digər böyük şəhərlərinə yayıldığı bildirilir. Səhiyyə rəsmiləri ilk dəfə dekabr ayında Yuhan şəhərində ortaya çıxan infeksiyanı koronavirus xəstəliyi kimi müəyyən ediblər. Virusun yayılmasının bir bazardan meydana gəldiyi güman edilsə də, rəsmilər və elm adamları bunun necə yayıldığını hələ ki, dəqiq müəyyənləşdirməyiblər. İngiltərədəki mütəxəssislər BBC-yə bildiriblər ki, yoluxmuş insanların sayı rəsmi rəqəmlərdən çox ola bilər. Onlar bu rəqəmi 1700-ə yaxın olduğunu təxmin ediblər. Çindən başqa, Taylandda iki, Cənubi Koreyada bir və Yaponiyada bir xəstəlik halları qeydə alınıb. O təhlükəlidirmi? Çin rəsmiləri virusun bir adamdan digərinə yoluxması hallarının \"olmadığını\" deyirlər. Çinin Milli Səhiyyə Komissiyası bildirib ki, hələ də virusun \"qarşısını almaq və ona nəzarət etmək olar\". Öskürəndə və ya asqıranda otaqdan çıxmaq lazımdırmı? Bununla yanaşı qurum xəbərdarlıq edib ki, virusun mənbəyinin, ötürülməsi və mutasiya üsullarının məlum olmadığını nəzərə alaraq yaxından nəzarətə ehtiyac var. Yayılan xəstəlik Sars virusu ilə bağlı xatirələri yenidən canlandırıb. Sars virusu da koronavirus olub və o, 2002-ci ildə əsasən Asiyada yerləşən onlarla ölkədə 774 insanın ölümünə səbəb olub. Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45811461", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45817175", "doc1": "সৌদি গোয়েন্দা দলের ওপর সিসিটিভি ফুটেজ। এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, ইস্তাম্বুলের বিমান বন্দর দিয়ে কথিত সৌদি গোয়েন্দারা ঢুকছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে। সৌদি রাজতন্ত্রের একজন কড়া সমালোচক মি. খাসোগি গত ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তুর্কী কর্তৃপক্ষ বলছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। ভিডিওতে কী রয়েছে? তুর্কী টিভি চ্যানেল আরটিআর-এ যে ভিডিওটি প্রচার করা হয় তা জোগাড় করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে। এতে দেখানো হয়েছে, কতগুলো গাড়ি সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ঢুকছে। এর মধ্যে কাল রঙের একটি ভ্যান সম্পর্কে তুর্কী কর্তৃপক্ষ জানতে খুবই আগ্রহী। এই সৌদি বিমানের সাথে জামাল খাসোগির গুমের ঘটনার সংযোগ রয়েছে বলে তুর্কী তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন। আরো পড়তে পারেন: জন্মদিনে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর বাংলাদেশের বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি মামলার মোড় ঘুরিয়েছিল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একদল সৌদি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে দিয়ে প্রবেশ করছে, হোটেলে চেক-ইন করছে এবং পরে সে দেশ ত্যাগ করছে। তুর্কী তদন্তকারীরা দুটি সৌদি গাল্ফস্ট্রিম জেট বিমান সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে। এই বিমান দুটি ২রা অক্টোবর অবতরণ করেছিল। মি. খাসোগি সেই দিন থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মি. খাসোগির কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কিন্তু তার বেরিয়ে আসার কোন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তুর্কী সংবাদপত্র সাবাহ্ খবর দিয়েছে যে সৌদি গোয়েন্দা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ঐ সাংবাদিকের গুমের সাথে জড়িত বলে তারা জানতে পেরেছে। পুলিশ এখন প্রায় ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখছে। তুরস্ক বলছে, তারা সৌদি কনসুলেটে তল্লাশি চালাবে। অন্যদিকে, সৌদি আরব বলছে যে কোন তদন্তের সাথে তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু তুর্কী সরকার দাবি করছে, মি. খাসোগি যে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছে সৌদি সরকারকেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। জামাল খাসোগির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমে ক'দিন ধরেই তুমুল হৈচৈ চলছিল - কিন্তু এখন তা পুরাদস্তুর হত্যা রহস্যের চেহারা নিয়েছে । জামাল খাসোগির সৌদি কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য। ৫৯-বছর বয়সী মি. খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক, এবং বেশ কিছুকাল ধরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ জনের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছিল। কেন সৌদি কনস্যুলেটে এসেছিলেন জামাল খাসোগি? মি. খাসোগির কনস্যুলেটে আসার উদ্দেশ্য ছিল, তার পূর্বতন স্ত্রীকে যে তিনি ডিভোর্স (তালাক) দিয়েছেন - এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়া, যাতে তিনি তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে পারেন। মি. খাসোগি তার মোবাইল ফোনটি মিস চেঙ্গিসের হাতে দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। মিজ চেঙ্গিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মি. খাসোগি এ সময় বিমর্ষ এবং মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন - কারণ তাকে ওই ভবনে ঢুকতে হচ্ছে। হাতিস আরো বলেন, জামাল খাসোগি তাকে বলেছিলেন যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে তিনি যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। হাতিস চেঙ্গিস, জামাল খাসোগির হবু বধু। তিনি জানান, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি জামাল খাসোগিকে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন নি। বুধবার সকালবেলা কনস্যুলেট খোলার সময় তিনি আবার সেখানে উপস্থিত হন। তখন পর্যন্ত মি. খাসোগির কোন খোঁজ মেলেনি। তার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ।", "doc2": "Görüntülərdə, iddia edildiyinə görə, \"Səudiyyə kəşfiyyatının zabitlərinin hadisədən bir gün öncə Türkiyənin İstanbul hava limanına xüsusi jetlə daxil olması və sonra da ölkəni tərk etməsi\" təsvir olunub. Kaşıkçı ABŞ sakinidir və Səudiyyə monarxiyasının tənqidçisidir. O, oktyabrın 2-də İstanbulda Səudiyyə konsulluğuna daxil olduqdan sonra bir daha görünməyib. Türkiyə rəsmiləri onun öldürüldüyünü iddia edib, Səudiyyə bunu inkar edir. Çərşənbə günü ABŞ prezidenti Donald Trump deyib ki, o, \"bu məsələni dibinədək bilmək istəyir\". \"Biz imkan verə bilmərik ki, bu, jurnalistlərin və ya kim olursa olsun, başına belə iş gəlsin\". O deyib ki, vəziyyət \"ciddidir\" və Kaşıkçının nişanlısın - Hatice Cengizi Ağ Evə dəvət etmək istəyir. Videoda daha nələr olub? Türkiyənin TRT World kanalının yayınladığı və təhlükəsizlik kameralarından götürüldüyü deyilən kadrlarda konsulluğun qarşına dayanan avtomobillər göstərilib. Onların arasında qara rəngli mikroavtobuslar türkiyəli müstəntiqlərin diqqətini xüsusilə cəlb edib. Videoda bir qrup \"səudiyyəli\" kişinin İstanbul aeroportundan Türkiyəyə daxil olduqları, mehmanxanada qeydiyyatdan keçdikləri və sonradan ölkəni tərk etdikləri göstərilib. Türkiyəli müstəntiqlərin diqqətini oktyabrın 2-də aeroporta enmiş Səudiyyənin iki Gulfstream reaktiv təyyarəsi cəlb edib. Videoda təyyarələrin aeroport zolağında gözlədiyi görünür. Nişanlısı Hatice Cengizlə evlənməyə hazırlaşan Kaşıkçı Səudiyyə konsulluğuna əvvəlki nikahını bitirmək üçün boşanma prosesini başa çatdırmaq üçün getmişdi. Videoda onun konsulluğa girdiyi görünür, onun nişanlısı isə küçədə onu gözləyir. Türkiyənin Sabah qəzeti bildirib ki, çəkilmiş kadrlarda kəşfiyyatın 15 üzvü tanınıb. Türkiyə onların Kaşıkçının yoxa çıxmasında əli olduqlarını güman edir. Onların arasında kriminalistika eksperti də olub. BBC müxbiri Mark Lowen-in bildirdiyinə görə, həmin heyətdən bir nəfər vaxtı ilə Londona da göndərilib. Məlumatlara görə, polis 150 təhlükəsizlik kamerasının çəkilişlərini istintaq çərçivəsində yoxlayır. Bəzi yerli medianın yazdığına görə, cənab Kaşıkçı öldürülməkdənsə oğurlana bilərdi. Türkiyə Səudiyyənin İstanbul konsulluğunda axtarış aparacağını bildirib, Səudiyyə Ərəbistanı Xarici İşlər naziri ölkənin \"əməkdaşlıq üçün açıq olduğunu\" deyib və bildirib ki, binada axtarış aparıla bilər. Ankara Səudiyyədən Kaşıkçı binanı tərk etdiyini sübut etməyi tələb edir, eyni zamanda, onun binada öldürüldüyünü birmənalı olaraq sübut edən dəlillər təqdim olunmayıb. Camal Kaşıkçı kimdir? Vəliəhd Məhəmməd bin Salmanın tənqidçisi olan Kaşıkçı könüllü olaraq ABŞ-da sürgündə yaşayıb və Washington Post nəşri ilə jurnalist kimi yoxa çıxana qədər əməkdaşlıq edib. O, al-Watan qəzetinin və qısa müddət fəaliyyət göstərmiş Saudi TV xəbər kanalının keçmiş redaktoru olub. Uzun ilər ərzində Səudiyyənin kral ailəsinə yaxın olan şəxs sayılıb. O, yüksək rütbəli Səudiyyə rəsmilərinin müşaviri kimi çalışıb. Lakin onun bir neçə dostu həbs olunduqdan sonra, al-Hayat qəzeti onun yazılarının dərcini dayandırıb, deyilənə görə, ona tvitlərini kəsmək barədə xəbərdarlıq ediləndən sonra Kaşıkçı Səudiyyə Ərəbistanından ABŞ-a köçüb. Beynəlxalq reaksiya necə olub? Britaniyanın Xarici İşlər naziri Səudiyyə Ərəbistanına xitabən bildirib ki, Britaniya Kaşıkçının yoxa çıxması ilə bağlı təcili cavab gözləyir. Səudiyyənin Xarici İşlər naziri Adel sl-Jubeirə yazaraq Jeremy Hunt xəbərdarlıq edib ki, \"dostluq şümumi dəyərlərdən asılıdır\". ABŞ Dövlət Katibi Mike Pompeo Səudiyyə Ərəbistanı \"ətraflı istintaqı dəstəkləməyə\" və \"nəticələrə dair şəffaf olmağa\" çağırıb. BMT ekspertləri \"təcili, müstəqil və beynəlxalq istantaqın\" keçirilməsini tələb ediblər. Ötən həftə Səudiyyə vəliəhdi Məhəmməd Bloomberg News-a bildirib ki, hökümət Kaşıkçıya \"nəyin baş verdiyini bilməkdə israrlıdır\" və qeyd edib ki, Kaşıkçı konsulluğu \"bir neçə dəqiqədən və ya bir saatdan sonra tərk edib\". Vəliəhd Məhəmmədin qardaşı, Səudiyyənin ABŞ-da səfiri şahzadə Xalid bin Salman əs-Səud təkid edib ki, Kaşıkçının yoxa çıxması və ya ölməsi barədə bütün xəbərlər \"tamamilə saxta və əsassızdır\". Sərhədsiz Reportyorlar qrupu Kaşıkçının yoxa çıxmasının müstəqil beynəlxalq araşdırılmasına çağırıb. Qrup bildirib ki, 2017-ci ilin sentyabrından bəri Səudiyyə Ərəbistanında 15 jurnalist və bloqçu həbs olunub. Kaşıkçının nişanlısı nə deyir? Hatice Cengiz Washington Post-a yazdığı emosional məqalədə kömək üçün ABŞ-a müraciət edib. \"Prezident Trump və Brinci xanım Melania Trump-a Camalın yoxa çıxmasına işıq salmaqda kömək etməyə yalvarıram\", - o yazıb. \"Biz evlənməyimizi, gələciyimizi planlaşdırmanın ortasındaydıq\", - Hatice Cengiz yazıb. Hatice Cengiz konsulluq qarşısında nişanlısını gəzləyərkən \"Camal dəyərli şəxs, mütəfəkkir şəxs, öz prinsipləri uğrunda mübarizə aparan insandır. O Türkiyədə öldürülüb və ya oğurlanıbsa, bundan sonra necə yaşayacağımı bilmirəm\", - Hatice Cengiz yazıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56631355", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-51722376", "doc1": "ভিটামিন ডি ক্যাপসুল কিছু ভুয়া তথ্য আছে যা একেবারে সরাসরি ভুল বা মিথ্যা। কিন্তু কিছু মিসইনফরমেশন আছে - যা তৈরি হয় খানিকটা সত্য এমন কিছু ধারণার ওপর ভিত্তি করে । এ ধরনের ভুয়া তথ্যের মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। ভিটামিন ডি কেন? কোভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত বহু রকম উপায় বাতলানো হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেকটিন, ভিটামিন-ডি - এগুলোর প্রতিটি নিয়েই গবেষণা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রক্রিয়ায় এটা স্বাভাবিক ঘটনা যে - প্রথমে মনে করা হয়, অমুক রোগের চিকিৎসায় অমুক ওষুধ কার্যকর হতে পারে - কিন্তু আরো গবেষণার পর দেখা যায় - তা নয়। কিন্তু অনলাইনে ব্যাপারটা ভিন্ন চেহারা নেয়। অনেক প্রাথমিক গবেষণা বা নিম্ন-মানের গবেষণার ফলও প্রেক্ষাপট-বিবর্জিতভাবে ইন্টারনেটে শেয়ার হয়। এগুলো সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি, এবং তার পর তা ব্যবহৃত হয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের কাজে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে কি ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত? করোনাভাইরাস: দক্ষিণ এশীয়দের মারা যাবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি? ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ অনেককে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। ভিটামিন ডি-কে কোভিড চিকিৎসা বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে - এমন মনে করার সপক্ষে কিছু কারণ অবশ্যই আছে। কারণ, ভিটামিন ডি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় একটা ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাজ্যে এখন শীতকালে সবাইকে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে সুপারিশ করা হয়। যাদের দেহে এই ভিটামিনের ঘাটতি আছে - তাদের সারা বছর ধরেই এটা খেতে বলা হয়। কিন্তু, উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি খেলে কোন রোগ প্রতিরোধ করা বা তার চিকিৎসা সম্ভব - আজ পর্যন্ত কোন গবেষণাতেই যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতীয়মান হয় নি। অবশ্য তার মানে এ-ও নয় যে ভবিষ্যত কোন গবেষণায় এর কোন পরিবর্তন হবে না। গবেষণায় কি দেখা গেছে? অনেকগুলো জরিপে দেখা গেছে যে ভিটামিন-ডি এবং কোভিড সংক্রমণের পরিণাম - এ দুয়ের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এগুলো হচ্ছে পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া প্রমাণ। এর অর্থ হলো: এখানে কোভিড আক্রান্ত হবার পর ভিটামিন-ডি ঘাটতি আছে এমন লোকদের ক্ষেত্রে কি ঘটেছে, তার সাথে উচ্চতর মাত্রার ভিটামিন ডি আছে এমন লোকদের কি ঘটেছে - তারই তুলনা করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কিন্তু এখানে রোগীদের ওপর অন্য যেসব প্রভাবক কাজ করেছে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এগুলো তাই সর্বোচ্চ স্তরের বা 'গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড' তথ্যপ্রমাণ নয়। সেটা পেতে হলে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ট্রায়াল চালাতে হয় - যাতে কিছু লোককে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি দেয়া হয়, অন্য আরো কিছু লোককে দেয়া হয় একটি 'ডামি'। যাতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে চিকিৎসার যে ফল পাওয়া যাচ্ছে - তা ওই বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগের কারণেই হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে পর্যবেক্ষণবিত্তিক জরিপে দেয়া যায়, কিছু গোষ্ঠীর মানুষদের ভিটামিন ডি ঘাটতি থাকার এবং কোভিডে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। যেমন - যারা বয়স্ক মানুষ, যারা মোটা হয়ে গেছেন, বা কৃষ্ণাঙ্গ বা দক্ষিণ এশিয়ান জনগোষ্ঠীর মানুষ যাদের ত্বকের রঙ অপেক্ষাকৃত কালো বা বাদামী। অভ্যন্তরীণ জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ দূর করতে পারে ভিটামিন ডি এমন হতে পারে যে ভিটামিন ডি কম থাকাটাই এই জনগোষ্ঠীর করেনাভাইরাস সংক্রমণের বেশি ঝুঁকির কারণ। অথবা এর পেছনে কোন পরিবেশ বা স্বাস্থ্যগত কারণও থাকতে পারে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূতদের সারা বছর ধরে ভিটামিন ডি খেতে বলা হয়। কিন্তু ভিটামিন-ডির ঘাটতির সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা শুধু যথাযথ গবেষণার পরই বলা সম্ভব। বর্তমানে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে এরকম একটি জরিপ চলছে। স্পেনের কিছু জরিপ বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপের প্রতি সম্প্রতি অনেকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এতে আভাস দেয়া হয়, ভিটামিন-ডি নেবার ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি হবার প্রয়োজন ৮০ শতাংশ কমে গেছে, এবং কোভিডে মৃত্যু কমেছে ৬০ শতাংশ। অনলাইনে এ জরিপটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। কিন্তু এ জরিপটি এখন \"গবেষণার বর্ণনা নিয়ে উদ্বেগের কারণে\" অনলাইন থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। ল্যান্সেট সাময়িকী এ গবেষণাপত্রটির ব্যাপারে একটি তদন্তও শুরু করতে যাচ্ছে। কিন্তু এই জরিপটি অনলাইনে যত প্রচার পেয়েছিল, এটি প্রত্যাহারের খবর ততটা পায়নি। স্পেনের একজন জরুরি সেবা সংক্রান্ত ডাক্তার অরোরা বালুজা বার্সেলোনার জরিপটি রিভিউ করেছিলেন। তিনি বলছেন, \"ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকা যেসব কোভিড রোগী মারা যায়, তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু শুধু ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট দিয়ে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা সব সময়ই ব্যর্থ হয়েছে। \" ইন্টারনেটে প্রচারণা অনলাইনে অনেকেই ভিটামিন-ডির সাথে রোগ প্রতিরোধক্ষমতার সম্পর্ককে একটি ডাক্তারি পরামর্শ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। অনলাইনে কিছু ফোরামে অনেকে আবার এটাকে বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। কিছু সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে কেউ কেউ বলেছেন, অনেক দেশের সরকারই ভিটামিন-ডির কার্যকারিতার কথা 'নামমাত্র' উল্লেখ করছে এবং তারা জোর দিচ্ছে ভ্যাকসিন এবং সংক্রমণের ট্র্যাকিংএর ওপর। তাদের মতে \"এই উপেক্ষার কারণ হলো - বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নেয়।\" কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে ডেক্সামেথাসোনের মত সস্তা ও কার্যকর চিকিৎসা যখন প্রমাণিত হয়েছে - তখন সরকারগুলো একে ঠিকই গ্রহণ করেছে। তা ছাড়া ভিটামিন বিক্রি নিজেই একটি কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা। ভিটামিন ডি খেলে ক্ষতি কী? অনলাইনে যে লোকেরা আদর্শগতভাবে টিকা বিরোধী- তারা অনেকে নানা রকমের 'প্রাকৃতিক' চিকিৎসা, বিকল্প ওষুধ, বা ভেষজ চিকিৎসা ধর্ম - ইত্যাদি নানারকম অন্যান্য গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত। ভিটামিন-ডির ব্যাপারটা তাদের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায়। তারা লোককে বলতে চান যে \"টিকা নেবার দরকার নেই, ভিটামিন-ডি নিলেই যথেষ্ট।\" ভিটামিন ডি তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিমুক্ত - তাই ভুয়া তথ্য হিসেবেও একে খুব একটা ক্ষতিকর বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় না। কিন্তু কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ভ্যান ডার লিন্ডেন বলছেন, বিপদটা হয় তখনই - যখন লোকে ধরে নেয় যে এটা একটা জাদুকরী চিকিৎসা, এবং ভ্যাকসিন, মাস্ক বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা না করে তার বদলে ভিটামিন-ডি খেলেই যথেষ্ট।", "doc2": "Koronavirus kimi mühüm hadisələr barədə xəbərlər uşaqlarda narahatlıq hissi yarada bilər Virusdan irəli gələn təhlükələr bir çox insanı narahat etməkdədir. Onlar arasında məsləhət üçün adətən valideynlərinə üz tutan uşaqlar da var. Bəs görəsən, qorxu və ya narahatlıq hissi keçirən uşaqlara virus barədə necə danışmalı? Özünə əminlik Altı yaşlı oğlan uşağının atası olan, ingiltərəli ailə həkimi Punam Krishan BBC Radio Scotland proqramına bunları deyib: \"İlk növbədə narahatlığı aradan qaldırıb, özünə əminlik hissi yaratmaq lazımdır. Uşağa demək olar ki, bu, soyuqdəymə, ishal və ya ürək bulanmasına səbəb olan viruslardan biridir\". Həkim tövsiyəsinə əsasən, valideyn öz övladı ilə \"həqiqətən də açıq, dürüst və səmimi\" şəkildə danışmalıdır. \"Elə mənim özüm də belə edirəm və məni görməyə gələn digər valideynləri də məhz bunu etməyi həvəsləndirirəm\". Koronavirus kimi mövzularda uşaqla danışmağın düzgün tərzi onun yaşına görə müəyyən edilməlidir, uşaq psixoloqu dr. Richard Woolfson belə düşünür. Uşağı arxayın etmək çox önəmlidir \"Daha azyaşlı uşaqlarda, yaşları yeddi və ya altıdan aşağı olanlarda virus barədə söhbət böyük bir ehtimalla nigarançılıq hissi yarada bilər\". Richard Woolfson deyir ki, uşaqda qorxu hissi yaratmamaq üçün ona ürək-dirək vermək lazımdır. \"Əvvəlcə uşağınıza ürək-dirək verin. Deyin ki, nə olacağı bilməsəniz də, \"hər şey yaxşı olacaq, hər şey qaydasında olmalıdır. Bəzi insanlar bu virusa yoluxsa da, hər şey yaxşı olacaq.\" Əməli addımlar Dr. Woolfson-un etirafına əsasən, övladınızın virusa yoluxub-yoluxmayacağını dəqiq bilmək mümkün deyil. Amma uşağınızı əbəs yerə narahat etməkdənsə, nikbin olmaq daha məntiqli görünür. \"Uşaqları arxayın etmək kifayət etmir, onlara həmçinin daha çox imkan vermək lazımdır\". Uşaqlara əməli addımlar öyrətmək lazımdır. Bu onların virusa yoluxma şanslarını azaltmaqla yanaşı, vəziyyətə nəzarət hissini də artıra bilər. Gigiyena qaydalarına yiyələnməyin psixi və praktiki üstünlükləri var Uşaqlara xatırlatmaq olar ki, \"özününün və hamının sağlamlığını qoruyacaq müəyyən şeylər var, misal üçün - müntəzəm olaraq əlləri yuyub təmiz saxlamaq və s.\" Deyilənlərlə razılaşan dr. Krishan əlavə edir ki, \"virusun qarşısını almaq naminə infeksiyaya nəzarət, özünüqoruma qaydalarının aşılanması həqiqətən də böyük əhəmiyyət kəsb edir.\" O tövsiyə edir ki, uşaqlarla əllərin təmiz saxlanması kimi mövzular müzakirə olunsun. Virusun qarşısını almaq Uşaqlarla gigiyena barədə danışmaq yalnız narahatlığı aradan qaldırmaq məqsədini daşımır. Uşaqlar hər şeyə maraq göstərir, onların əşyalara toxunmaqdan xoşu gəlir. Uşaqlar içki və yeməklərini bölüşməyi də sevir. Məhz bunlara görə, uşaqlar infeksiyanın ötürülməsində əsas mənbələrdən biri sayılır, dr. Krishan belə deyir. Uşaqlar bir-birinin yeməklərinin dadına baxmağı xoşlayır \"Biz onlara bu həyati bacarığı ən gənc yaşlarından öyrətməliyik.\" Övladlarınıza effektiv gigiyena qaydalarını aşılamaq bütöv cəmiyyətin qorunmasına xidmət edə bilər. Saxta xəbərlər Dr. Woolfson deyir ki, uşaqlarda əmələ gələn narahatlıq hissi valideynlərdən irəli gələ bilər. \"Şübhəsiz ki, gənc yaş qrupuna aid uşaqlara valideynlərin təsiri çox böyük olur.\" Onlar valideynlərin narahatlığını, həyəcan keçirdiyini görsələr, valideynlərin dostları ilə etdikləri söhbətləri eşitsələr, bundan daha çox təsirlənərlər\". Uşaqlar məlumatları sosial media və ya dostlarından ala bilər Valideynlər övladlarının qarşısında öz davranışlarına hakim ola bilər. Lakin onların məktəbdə baş verənlərə nəzarət etmək imkanları yoxdu. \"Mənim on iki, on və səkkiz yaşlı nəvələrim bir çox uydurmalar barədə danışır\", dr. Woolfson deyir. \"Hər biri məktəbə kiminsə gəldiyini, onların başqa bir yerdə olduğunu və daha sonra həmin şəxslərin evə göndərildiyi barədə danışır, belə şeyləri onların hamısı danışır. Bu, belə hekayələrin necə bir sürətlə yayıldığını göstərir. Uşaqları sakitləşdirmək və onlarla açıq danışmağın çox vacib olduğunu düşünürəm.\" Yeniyetmələr Valideynlərinə daha az güvənib, baş verən hadisələr barədə xəbər almaq üçün əsasən öz dostlarına üz tutan yeniyetmələrlə bağlı vəziyyət bir qədər fərqlidir. \"Yeniyetmələrin öz məlumat şəbəkələri var\", - dr. Woolfson deyir. \"Onlar daha çox öz həmyaşıdlarına güvənir. Təbii ki, problemlərdən biri də budur ki, yeniyetmələr konkret olmağa meyllidir. 14 yaşlı yeniyetməyə \"Hər şey yaxşı olacaq!\" demək birmənalı qarşılanmaya bilər. Çünki o, \"Sən haradan bilirsən ki?\" cavabını qaytara bilər. Yeniyetmələr xəbər almaq üçün əsasən öz dostlarına üz tutur Beləliklə, yaşı nisbətən çox olan övladınızla mübahisə ehtimalı xeyli yüksəkdir. Çox güman ki, onlar sizin dediklərinizi qəbul etməsinlər\". Ancaq bütün uşaqlara məxsus olan ortaq cəhət də var. \"Söhbət, yaş qrupundan asılı olmayaraq, uşağın istədiyi fikri söyləyə biləcək atmosferin yaradılmasından gedir\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46941791", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-48819777", "doc1": "চাঁদের বুকে পৃথিবীর দ্বিতীয় মানব বুয অলড্রিন তার কিছুক্ষণ পরেই তার সহকর্মী বায অলড্রিন, (যার আসল নাম এডউইন অলড্রিন জুনিয়র) তার সঙ্গে যোগ দেন। ঈগল চন্দ্রযান থেকে বেরিয়ে অলড্রিন চাঁদের বিস্তীর্ণ সৌন্দর্য দেখে মন্তব্য করেছিলেন, 'অভাবনীয় নির্জনতা'। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসের ওই অ্যাপোলো ১১ অভিযানের পর চাঁদ বেশিরভাগ সময় স্পর্শহীন থেকেছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে সেখানে আর কোন মানুষের পা পড়েনি। তবে এটি হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পাল্টে যাচ্ছে, কারণ অনেকগুলো কোম্পানি চাঁদের অভিযানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অনেকে সম্ভবত চাঁদে খনি অভিযান চালিয়ে সোনা, প্লাটিনাম আর দুর্লভ সব ধাতু আহরণ করতে চাইবে, যেগুলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়। এ মাসের শুরুর দিকে চাঙ্গ' এ ফোর নামে চীনের একটি নভোযান চাঁদের অপর পিঠে নেমেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি জীবমণ্ডল স্থাপন করে সেখানে একটি চারা গাছ রোপণ করতে সক্ষম হয় ওই চন্দ্রযানটি। এখন সেখানে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার চেষ্টা করছে ওই চন্দ্রযান। আরো পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান মহাকাশ নিয়ে এতো মরিয়া কেন চীন? মহাকাশ থেকে ভারতের বাতাস কেন দেখতে ভিন্ন চাঁদে যা পাওয়া যেতে পারে: পানি, সোনা, প্লাটিনাম ও দুর্লভ ধাতু জাপানের কোম্পানি আইস্পেস 'চাঁদ-পৃথিবী পরিবহন প্লাটফর্ম' নামের একটি পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা চাঁদের মেরুতে অভিযান চালাতে চায়। সুতরাং অলড্রিনের চাঁদের সেই 'অভাবনীয় নির্জনতা' কি টিকে থাকবে নাকি পৃথিবীর এই একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটি বাণিজ্যিক আর রাজনৈতিক জমি ও সম্পদ দখলের লড়াইয়ে পরিণত হবে? স্নায়ু যুদ্ধের সময় মহাকাশ অভিযান শুরুর পরপরই মহাকাশের নানা বস্তুর মালিকানার বিষয়টি একটি ইস্যু হয়ে ওঠে। যখন নাসা তাদের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তখন জাতিসংঘে বহির্জগতের মহাকাশ চুক্তি নামের একটি চুক্তিপত্র গ্রহণ করা হয়। ১৯৬৭ সালের ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য। সেখানে বলা হয়, পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্যে, চাঁদ এবং অন্যান্য যেসব বস্তু রয়েছে, সেখানে কোন দেশ দখল বা অন্য কোনভাবে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করতে পারবে না। মহাকাশ বিষয়ক কোম্পানি অলডেন এডভাইজারর্সের পরিচালক জোয়ানা হোয়েলার বলছেন, ''ওই চুক্তিটি হচ্ছে মহাকাশের ম্যাগনা কার্টার মতো। এর ফলে আর্মস্টং এবং অন্যরা চাঁদে যে পতাকা পুতে রেখে এসেছিলেন, সেটি অর্থহীন হয়ে পড়ে, যেহেতু চাঁদে কোন ব্যক্তি, কোম্পানি বা দেশের মালিকানা নাকচ হয়ে গেছে।'' চাঁদের একপাশ আমরা কখনোই দেখতে পাই না কেন? সত্যি কথা বলতে, ১৯৬৯ সালে চাঁদে জমির মালিকানা বা খনির অধিকার তেমন একটা গুরুত্বও বহন করতো না। কিন্তু যেহেতু প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে, খনি আহরণ এখন খুবই লাভজনক একটি ব্যাপার, সুতরাং বহুদূর থেকেও খনি আহরণ করাটা লাভজনক হলে সেটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হতে পারে। ১৯৭৯ সালে চাঁদ ও মহাশূন্যের অন্যান্য বস্তুতে বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমঝোতা প্রস্তাব আনে জাতিসংঘ, যেটি ' মুন এগ্রিমেন্ট' নামে বেশি পরিচিত। সেখানে মূল বিষয়গুলো ছিল, এসব কর্মকাণ্ড হতে হবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে এবং কোন মহাকাশ স্টেশন বানাতে হলে আগে জাতিসংঘকে অবশ্যই জানাতে হবে কেন এবং কোথায় তারা সেটি বানাতে চায়। ওই চুক্তিতে আরো বলা হয়েছিল, চাঁদ এবং এর সকল প্রাকৃতিক সম্পত্তি মানব সভ্যতার সকলের সমান অধিকার থাকবে। যখন সেখান থেকে খনি আহরণ সম্ভব হবে, তখন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে, যারা সেই আহরণের বিষয়গুলো দেখভাল করবে। তবে ওই চুক্তিটির সমস্যা হলো, মাত্র ১১টি দেশ সেটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স ও ভারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং রাশিয়ার মতো মহাকাশ গবেষণার প্রধান দেশগুলো চুক্তিটি সমর্থন করেনি। মিজ হোয়েলার বলছেন, কোন চুক্তিতে উল্লেখ করা আইনগুলোর প্রয়োগ করা ততটা সহজ নয়। কারণ এসব চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে সেটিকে তাদের আইনে পরিণত করতে হবে এবং কোম্পানি বা ব্যক্তিদের সেটা মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। জার্নাল অফ স্পেস ল' এর সাবেক প্রধান সম্পাদক জোয়ান্নে ইরিনে গ্রাব্রিনোভিচ বলছেন, আসলে আন্তর্জাতিক সমঝোতা বাস্তবে কোন নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ সেটি বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং গণ মতামতের ওপর নির্ভর করে। আর মহাশূন্যের গ্রহ-উপগ্রহের ওপর মালিকানা না থাকার বর্তমান চুক্তিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতার এ দফায় কী চাইছেন শেখ হাসিনা ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ আসলে কী? চাঁদ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাশূন্যে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ রেখে একটি আইন অনুমোদন করে। সেখানে বলা হয়, কোন গ্রহাণু থেকে নাগরিকদের খনি সম্পদ আহরণের অধিকার দেয়া হয়। সেখানে চাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে একসময় সেটিও এই আইনের আওতায় চলে আসতে পারে। খনি সন্ধানী কোম্পানি প্লানেটারি রিসোর্সেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এরিক অ্যান্ডারসন এই আইনকে বিশ্ব ইতিহাসের সম্পত্তি মালিকার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি বলে বর্ণনা করেছেন। ২০১৭ সালে লুক্সেমবার্গ তাদরে নিজস্ব আইন অনুমোদন করে যেখানে মহাশূন্যে অধিকার করা কোন বস্তু বা সম্পত্তির মালিকানার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর ফলে এই খাতে দেশটি শীর্ষ অবস্থানে থাকবে বলে আশা করছেন সেদেশের নেতৃবৃন্দ। মহাকাশে অভিযান এবং আরো বেশি অর্থ লাভের সম্ভাবনায় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেক দেশ। নালেডি স্পেস ল' এন্ড পলিসির আইনজীবী হেলেন তাবেনি বলছেন, ''চাঁদের কোনরকম ক্ষতি না করে খনি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেখানকার সম্পদ পৃথিবীতে নিয়ে আসা বা চাঁদে মজুন করে রাখা সম্ভব নয়।'' তিনি বলছেন, বরং এই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং লুক্সেমবার্গ মহাকাশের চুক্তিগুলোকে দুমড়ে নিজেদের স্বার্থের পথ দেখছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি এভাবে একসঙ্গে মহাকাশে সম্পদ আহরণের মতো কর্মকাণ্ড শুরু করে, তাহলে প্রকৃতি কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।", "doc2": "Ay səthinə astronavtların ayaq basması bəşəriyyət üçün nəhəng irəliləyişə çevrildi. İndiki pulla dəyəri 200 milyard dollar təşkil edən ABŞ-ın Apollo kosmik proqramı gündəlik həyatımızın müxtəlif sahələrində gözlənilməz nailiyyətlərə səbəb olub. Onlardan bəzilərinə nəzər salaq. 1. Yır-yığış işlərində qarışıqlıq azalıb Black & Decker şirkəti 1979-cu ildən istehsal etdiyi Dustbuster markalı naqilsiz tozsoranı NASA-da topladığı təcrübə əsasında işləyib hazırlayıb. Naqilsiz elektrik cihazlar Apollo uçuşlarından əvvəl də var idi, lakin Apollo proqramı həmin alətlərin təkmilləşdirilməsinə böyük təsir göstərdi. Misal üçün ABŞ-ın Black & Decker şirkəti naqilsiz cihazları 1961-dən başlayaraq istehsal edir. Eyni zamanda bu şirkət NASA-nı kosmik obyektlərdən nümünə götürmək üçün burğu cihazlarıyla da təmin edir. Kosmik proqramlarda iştirakı nəticəsində əldə etdiyi təcrübə sayəsində Black & Decker şirkəti yeni məişət cihazları istehsalına başladı. Həmin cihazlardan biri də 1979-cu ildən istehsal edilən Dustbuster markalı naqilsiz tozsorandır. 30 il ərzində 150 milyondan çox Dustbuster satılıb. 2. Daha dəqiq işləyən saatlar Buzz Aldrin - Ay səthinə ayaq basmış ikinci adam Apollo 11 missiyası zamanı Ayda qol saatı taxaraq gəzirdi. Ay missiyalarının müvəffəqiyyəti üçün vaxtın dəqiqliyi həlledici əhəmiyyət kəsb edir - kosmosda astronavtların həyatı bəzən gözqırpımında baş verən hadisədən asılı ola bilər. Odur ki, kosmik missiyalar üçün NASA-ya ən dəqiq saatların tələb olunması təəcübblü deyil. Nəticədə, kvars saatlarının təkmilləşdirilmiş variantı hazırlandı. Bu saatların dəqiqlik dərəcəsi bir ildə bir dəqiqə təşkil edir. 3. Suyun təmizlənməsi NASA sayəsində çimərlik hovuzunda su gözlərimizi daha az göynədir. Apollo kosmik gəmisidə tətbiq olunmuş suyun təmizlənməsi texnologiyasından hazırda Yerdəki mənbələrdən alınan suyu bakteriya, virus və yosundan təmizləmək üçün istifadə olunur. Bu proqram çərçivəsində ilk dəfə olaraq suyun təmizlənməsi üçün xlordan istifadəyə əsaslanan texnologiya əvəzinə gümüş ionlarından istifadə olunub. Həmin texnologiyadan hazırda çimərlik hovuzlarının və fontanlardakı suyun təmizlənməsi üçün dünya boyu geniş istrifadə olunur. 4. Daha davamlı ayaqqabılar Astronavtların geyimində istifadə olunmuş texnologiyalar daha davamlı idman ayaqqabıları yaratmağa imkan verib. Astronavatlar hələ də 1965-ci ildə Apollo heyəti üçün yaradılmış kombinezonlardan istifadə edirlər. Həmin geyim astronavtların Ayın səthində gəzməsi üçün hazırlanmışdı. Həmin modellərdə istifadə edilmiş texnologiyalar yeni növ idman ayaqqabılarının yaradılmasına gətirib çıxarıb. Daha davamlı, elastik və zərbədən qoruyanhəmin idman ayaqqabıları son bir neçə onillikdir ki, bazarda öz yerini tutub. 5. Kosmos üçün yaradılmış odadavamlı parçalar NASA tərəfindən kosmos üçün yaradılmış parçalardan indi Yerdə istifadə olunur. 1967-də məşq zamanı baş vermiş yanğın Apollo 1-i məhv etmişdi, gəmidə olan üç astronavt həlak olmuşdu. Həmin hadisə ABŞ-ın kosmik proqramını geri salmışdı. Lakin eyni zamanda həmin hadisədən sonra NASA odadavamlı yeni parçalar yaratmışdı, həçin parçalardan Yerdə indi geniş istifadə olunur. 6. Urək üzərində cərrahiyyə əməliyyatı İmplantasiya olunan defibrilyatorlar NASA texnologiyası sayəsində yaradılıb. Ürək xəstəliyindən əziyyət çəkən pasiyentlərin müalicəsi üçün nəbzlərində ciddi pozuntu olanlara defibrilyatorlar implantasiya edilir. Təcili yardım xidmətlərində istifadə olunan defibrilyatorlardan fərqli olaraq xəstəyə implantasiya edilən defibrilyator kiçik ölçülüdür və xəstənin dərisinin altına implantasiya olunur. Defbrilyator ürək ritmini izləməyə imkan verir. Nəbzin pozulması halları elektrik impulslar vasitəsiylə müalicə olunur. Bu cür cihazların ilk versiyası 1980-ci illərdə ilk dəfə sınaqdan keçirilib. 7. Yeməklərimiz daha yığcam qablaşdırılır Dondurulub qurudulmuş yeməklər də Apollo dövrünün texnologiyalarna aiddir. Ay missiyaları NASA-dan yeməklərin qablaşdırılması üzərində də baş sındırmağa məcbur edib - yemək yükü mümkün qədər az yer tutmalı və yüngül olmalı idi. Bu problemin çözümü yeməklərin dondurulub qurudulmasında tapıldı. Kosmosda həmin yeməyi yeməli vəziyyətə gətirmək üçün sadəcə isti su əlavə etmək lazım idi. Belə yeməkləri hazırda Yerdə qiyməti təxminən 4 dollardan başlayaraq almaq mümkündür. 8. Xilasedici yorğanı Kosmik yorğanlar Yerdə də olduqca əhəmiyyətlidir - humanitar böhranlar zamanı onlardan istifadə olunur. Apollo gəmisinin Ay modullarını Günəş şüalarından qoruyan parıltılı örtüyə kosmik yorğanı deyilir. Həmin örtük kosmik gəminin zərvərəqə bükülməsi təssəvvürünü yaradır. Bu texnologiya indi hamıya məlum olan xilasedici yorğanların hazırlanmasında da istifadə olunub. Plastik və alüminiumdan hazırlanmış kosmik yorğanlar təkcə astronavtları qorumur. Humanitar missiyalar zamanı xilas edilən insanlara verilən termal yorğanlar NASA texnologiyaları əsasında hazırlanır. Soyuqdan qoruduğu kimi bu yorğanlar insanı istidən də qoruyur, odur ki, bəzən marafon yarışları iştirakçılarını qızmar istidən qorumaq üçün də belə örtüklər verilir. Xəstəxanalarda xəstələrin və işçilərin şəraitini yaxşılaşdırmaq üçün də kosmik texnologiyalardan istifadə olunur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43326744", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52955743", "doc1": "সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টায় স্নায়ুকে আঘাতকারী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে ঐ রুশ গোয়েন্দা এবং তার মেয়েকে রোববার একটি পার্কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা এখন গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নার্ভ এজেন্ট কী? নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে এবং দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণভাবে মুখ অথবা নাক দিয়ে এই রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করানো হয় কিন্তু চোখ বা ত্বক তা শোষণ করতে পারে। 'বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে' কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি বলেছেন সরকারি বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন যে তাদের ক্ষেত্রে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে তারা খবরটিকে উন্মুক্ত করতে চাননা। তিনি জানান, বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে 'হত্যা চেষ্টার' সন্দেহ করা হচ্ছে । ২০০৬ সালে রাশিয়ার আরেকজন গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল লন্ডনে। নার্ভ এজেন্ট সাধারণভাবে ক্রিমিনাল গ্যাং বা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো তৈরি করতে পারে তেমনটি নয়। বিশেষ গবেষণাগারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়। এখন এর অবশ্যম্ভাবী সন্দেহ পড়বে রাশিয়ার দিকে। কারণ তাদের শত্রুদের বিষ প্রয়োগে হত্যার রেকর্ড আছে শুধু তাই নয়, সের্গেই স্কিপ্রাল-এর ঘটনার সাথে অন্য মোটিফও আছে। রাশিয়ার একজন সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে নিজেরে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনি এমআইসিক্সকে তথ্য দিতেন. ইউরোপে রাশিয়ার এজেন্টদের সম্পর্কে। বিশ্বাসঘাতকদের হত্যার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অতীতের এমন ইঙ্গিতও রয়েছে । যদিও মি স্ক্রিপাল যখন ব্রিটেনে আটবছর ধরে বসবাস করছিলেন তেমন সময় কেন তাকে হামলার শিকার হতে হল সে প্রশ্নও রয়েছে। সেইদিন দুপুরে সিটি সেন্টারে যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। যারা বিশেষ করে জিযযিতে খেয়েছেন কিংবা পান করেছেন তাদের কথা শুনবেন। তার এবং তার পাঁচদিন আগে যে দোকানে ৬৬বছর বয়সী মি. স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছর-বয়সী মেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। মিস্টার রাউলি জানান, কয়েকশো গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। তবে এর তদন্ত শেষ হতে আরও কদিন লেগে যাবে।", "doc2": "Nəşrin yazdığına görə, Yeni Zelandiyaya yollanmazdan əvvəl Skripallar bir il ərzində Britaniya kəşfiyyat xidmətinin (MI-6) himayəsi altında təhlükəsiz bir yerdə yaşayıblar. Hökumətdəki bir mənbə Sunday Times-a bildirib ki, keçmiş ikili agent və onun qızı kimliklərini dəyişiblər və başqa bir ölkədə həyat qura bilmələri üçün onlara maliyyə yardımı göstərilib. Nəşr müəyyən edib ki, Skripallar keçmiş qonşuları - Ross Cassidy və Mo ilə əlaqə saxlayırlar və keçən il onlara geri ünvanı olmayan Milad təbrik açıqçası göndəriblər. \"Onların bizi xatırladıqları çox xoşdur. Amma çətin ki, biz onları bir daha görək\", - Cassidy deyib. Keçmiş QRU zabiti Sergey Skripal Rusiyada casusluqda ittiham olunduqdan sonra 2010-ci ildə ABŞ-da həbs olunan rusiyalılara (onlardan bəziləri Rusiya xarici kəşfiyyat xidmətinin əməkdaşları olublar) dəyişdirildikdən sonra İngiltərədə məskunlaşıb. Sergey və Julia Skripal 4 mart 2018-ci il tarixində, İngiltərədə Salisbury şəhərinin mərkəzində huşsuz vəziyyətə düşüblər. Britaniya höküməti Rusiya xüsusi xidmət orqanlarını Skripalları \"Noviçok\" adlı sinir-iflicedici maddə ilə zəhərləmək cəhdində ittiham edib. Skripalların zəhərlənməsi Britaniya ilə Rusiya arasında münasibətlərin ciddi şəkildə pozulmasına səbəb oldu: hadisədən sonra London 23 Rusiya diplomatını ölkədən xaric etdi, Moskva da eyni diplomatik tədbirə əl atdı. Rusiya tərəfi Sergey Skripala qarşı sui-qəsd cəhdində iştirakını ardıcıl olaraq rədd edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46009017", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46010708", "doc1": "বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি আগুন ধরে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের মাঠেই প্রিমিয়ার লীগের একটি ম্যাচ দেখেছেন তিনি। হেলিকপ্টারটি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। স্টেডিয়ামের বাইরে কার পার্কেই সেটি পড়ে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা যে সেসময় হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটির সূত্রের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পরপরই তিনি লেস্টার সিটির একজন খেলোয়াড়কে স্টেডিয়ামের বাইরে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। হেলিকপ্টারে সেসময় তার সাথে আর কেউ ছিলেন কিনা সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। লেস্টার সিটির মালিকের অবস্থা সম্পর্কেও তার পরিবার, ক্লাব কিম্বা পুলিশের তরফ থেকেও এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কেও এখনও কিছু জানা যায়নি। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সাথে এবং খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এই মালিকের অধীনেই লেস্টার সিটি ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছিল, উঠেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা রায়ান ব্রাউন নামের একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পর হেলিকপ্টারটিকে তিনি কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামের উপরে উড়তে দেখেছেন। বিবিসি লেস্টারকে তিনি বলেন, \"ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সেখানে ঘড়ঘড় করার মতো একটা শব্দ হচ্ছিল।\" \"হঠাৎ করে হেলিকপ্টারটি চুপ হয়ে যায়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে খুব জোরে একটা শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়।\" দুর্ঘটনার পরপরই বিভিন্ন জরুরী বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। লেস্টারশায়ারের পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার নিয়ে তাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেস্টার সিটির মেয়র, ক্লাবের সাবেক ফুটবলার এবং ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার এবং ক্লাবের তারকা জেমি ভার্ডি। ওয়েস্ট হ্যাম ক্লাবের পক্ষ থেকেও টুইট করে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা একজন থাই ধনকুবের ব্যবসায়ী। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ডের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি চার নম্বরে। প্রায় চার কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি লেস্টার সিটি ক্লাব কিনেছেন ২০১০ সালে।", "doc2": "Tailandlı milyarderin ailəsinə yaxın olan mənbə BBC-yə deyib ki, Vichai Srivaddhanaprabha helikoperin göyərtəsində olub. Reuters agentliyi bildirib ki, helikopterdə beş nəfər olub. Bu məlumatın və, o cümlədən, kimin öldüyü barədə rəsmi məlumatın təsdiqi hələ yoxdur. Faciə Leicester şəhərində baş verib, Leicester City klubunun stadionu yaxınlığında. Şənbə günü stadionda Leicester City ilə West Ham United komandalarının Premier League birinciliyində matçı keçirilib. Həmin matç 1:1 hesabı ilə başa çatıb. Vichai Srivaddhanaprabha-nın helikopteri havaya matç başa çatandan təxminən bir saat sonra qalxıb. Şahidlərin sözlərinə görə, helikopter havaya qalxdıqdan qısa müddət sonra sürərtini itirərək yerə dəyib və alışıb. Yanğınsöndürənlərə yanğını söndürmək üçün 20 dəqiqə vaxt tələb olunub. Vichai Srivaddhanaprabha matçlardan sonra stadionu tez-tez öz helikopterində tərk edirdi. Vichai Srivaddhanaprabha-nın rəhbərliyi altında Leicester City futbol klubu 2016-cı ildə İngiltərə Premier League-nın qalibi olub. Tailandlı milyarder Vichai Srivaddhanaprabha Forbes jurnalına görə, 4,9 milyard dollarlıq varidatla Tailnadın 5-ci ən varlı adamı sayılıb. O, Leicester City klubunu 2010-cu ildə təxminən 50 milyon dollara alıb. O zaman bu klub İngiltərə futbolunun daha aşağı, ikinci divizionunda çıxış edirdi. 2014-cü ildə klub aşağı divizionda qalib çıxaraq Premier League-ya vəsiqə qazanıb. 2016-ı ildə autsayder sayılan Leicester City bütün proqnozlarım əksinə olaraq Premier League-nın çempionu adını qazanıb və beləcə, İngiltərə futbolunda sensasiyaya imza atmış olub. Həmin ildə futbol bukmekerləri Leicester City komandansının Premier League çempionu olmaq şanslarını 1:5000 nisbəti kimi qiymətləndirirdilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41591178", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-41597512", "doc1": "ভাইকিংদের কবর থেকে উদ্ধার করা সরঞ্জামগুলোতে 'আল্লাহ' 'আলী' ইত্যাদি শব্দ লেখা বা আঁকা রয়েছে। আর এসব সরঞ্জাম উদ্ধারের পর প্রশ্ন জেগেছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ানরা কি তাহলে ইসলাম ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন বেশ প্রাচীন আমলেই, লিখেছেন লন্ডন ভিত্তিক সাংবাদিক তারিক হুসেইন, যিনি মুসলিম হেরিটেজ সম্পর্কিত বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। নবম এবং দশম শতাব্দীর কবরস্থানে পাওয়া পোশাকে পরীক্ষা করে ভাইকিং এবং মুসলমানদের মধ্যকার যোগাযোগ সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া গেছে। ভাইকিংদের এসব কবর থেকে উদ্ধার করা সরঞ্জামগুলোতে 'আল্লাহ' 'আলী' ইত্যাদি শব্দ লেখা বা আঁকা রয়েছে। সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল আর্কিওলজিস্ট আনিকা লারসন বলেছেন, 'ভাইকিংরা কোনো এক পর্যায়ে হয়তোবা ইসলাম এবং এর পরকালের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।' গবেষকরা জানাচ্ছেন, নৌকা আকৃতির কবর থেকে উদ্ধার করা শেষকৃত্যের কাপড়ে শব্দগুলো লেখা হয়েছে আরবী কুফিক বর্ণমালায়। \"আমি হঠাৎ করে দেখলাম আল্লাহ শব্দটা এমনভাবে লেখা যেটা শুধু আয়নাতে ধরলে সঠিকভাবে দেখা সম্ভব\" - বলছেন লারসন। একশো'টি পোশাকের মধ্যে দশটি পোশাকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। \"হতে পারে যাদের কবর দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে মুসলিম ছিলেন। ডিএনএ পরীক্ষা করে আমরা দেখেছি যেসব মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে, তাদের অনেকে পারস্য থেকে এসেছেন, যেখানে ইসলামের অনেক প্রতিপত্তি ছিল\"। অবশ্য ভাইকিংদের কবরে 'আল্লাহ' শব্দ লেখা পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। উদ্ধার করা কাপড়ের প্যাটার্ন গবেষণার সময় দেখা যায় আয়নাতে ধরলে আরবী শব্দগুলো দেখা যাচ্ছে। ২০১৫ সালে উদ্ধার করা এ আংটিটি এখন সুইডিশ হিস্টোরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। আরব এবং মুসলমানদের সঙ্গে ভাইকিংদের যোগাযোগ যে বহু আগে থেকে ছিল এটা বেশিরভাগেরই অজানা। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে স্টকহোম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ওয়ার্মল্যান্ডারের নেতৃত্বে একদল গবেষক অনুসন্ধান চালিয়ে একটি কবর থেকে 'আল্লাহ' লেখা আংটি উদ্ধার করেছিলেন। সুইডেনের একটি প্রাচীন বাণিজ্য কেন্দ্র বির্কায় ৯ম শতাব্দীর প্রাচীন একটি কবর খুঁড়ে এক মহিলার দেহাবশেষ পাওয়া যায়। তার হাতে একটি আংটি ছিল, আর সেই আংটিতে প্রাচীন আরবিতে লেখা ছিল 'আল্লাহর প্রতি' বা 'আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে'। রূপার তৈরি ওই আংটিতে যে কুফিক আরবি লেখা ছিল তার প্রচলন ছিল ৮ম থেকে ১০ম শতাব্দিতে। দুই বছর আগে উদ্ধার করা ওই আংটিটি বর্তমানে সুইডিশ হিস্টোরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। ওই আংটিতে কুফিক বর্ণ ছিলো, এবারের উদ্ধারকৃত পোশাকগুলোতেও পাওয়া গেছে কুফিক বর্ণমালার উপস্থিতি। \"আল্লাহ শব্দটির পাশে বারবার আলী শব্দটিরও ব্যবহার হয়েছে,\" জানাচ্ছেন লারসন। \"আমি জানি মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা আলীকে অনেক সম্মান করেন এবং এমন সংযোগ দেখেও আমি অবাক হয়েছি\"। ইসলামের নবী মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাকে বিয়ে করেছিলেন আলী। তিনি ছিলেন ইসলাম ধর্মের চার খলিফার মধ্যে একজন। শিয়া ও সুন্নী সম্প্রদায়ের লোকেদের কাছে আলী গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিয়া সম্প্রদায়ে তাঁকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। \"ভাইকিংদের শেষকৃত্যের পোশাকে যে আলী লেখা শব্দ পাওয়া গেছে তাতে বুঝা যাচ্ছে যে তাদের সাথে শিয়াদের একটা যোগাযোগ থাকতে পারে,\" বলেছেন লন্ডনের ইসলামিক কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান আমির দে মারতিনো। \"যে প্যাটার্নে আলী শব্দটি লেখা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে তারা 'আল্লাহর বন্ধু' হিসেবে সেই শব্দটি ব্যবহার করতে চেয়েছে। এটা আবার শিয়া মতাবলম্বীদের সাথে মিলে না\"। \"কেউ হয়তো ভুল করে এটা কপি করেছে\"। \"আমি ভাইকিংদের প্যাটার্ন ধরার চেষ্টা করছি। আমি নিশ্চিত ভাইকিংদের জিনিসে আরো ইসলামিক শিলালিপি খুঁজে পাবো। কে জানে হয়তো পোশাক ছাড়াও অন্য কোনো শিল্পকর্ম খুঁজে পাবো\" বলেন লারসন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: রোহিঙ্গা সংকট: ‘আরসা’র সত্য অনুসন্ধানে বিবিসি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, হলিউড প্রযোজকের অস্কার ফিরিয়ে নেয়া হবে?", "doc2": "İsveçin Birka və Gamla Uppsala ərazilərində aşkar edilən ipək və gümüş iplikdən hazırlanmış parçalardan biri Tipik Vikinq dövrü kəfənləri 100 ildən çoxdur ki qorunur. Amma geyimlər üzərində aparılan yeni bir təhqiqat, - 9 və 10-cu əsr qəbirlərindən tapılan geyimlər - Vikinq və müsəlman dünyaları arasındakı əlaqənin göstəricidir. İpək və gümüş saplarla həkk edilən naxışlar, \"Allah\" və \"Əli\" sözlərini əmələ gətirir. Yazıları Uppsala Universitetindən tekstil arxeoloqu Annika Larsson üzə çıxarıb. O, 19-cu əsrin sonu və 20-ci əsrin əvvəllərində Birka və Gamla Uppsalada aşkar olunan qayıq və otaq məzarlardakı kişi və qadın dəfn geyimlərinin qalıqlarını təhqiq edən zaman naxışlarla qarşılaşıb. Bu Larssonun diqqətini, unudulmuş parçaların Asiya, İran və Çindən gəldiyini müəyyənləşdirdikdən sonra cəlb edib. O deyir ki, bu kiçik həndəsi işarələr, - 1.5 santimetrdən hündür olmayan - Skandinaviyada gördüyü heç bir şeyə bənzəmirdi. \"Onları heç nə ilə tutuşdura bilmirdim. Ta ki, İspaniyada mavr parçalarını xatırlayana qədər.\" Tapmacanın açması Larsson sonradan anlayıb ki, qarşısındakılar Vikinq naxışları yox, ərəb-kufi yazılarıdır. Və iki söz təkrarlanır. Onlardan birini o, iranlı həmkarının köməyi ilə oxuya bilib. \"Əli\" - İslamın dördüncü xəlifəsi. Amma Əli sözünün yanındakı sözü açmaq bir o qədər asan olmayıb. Bunun üçün Larsson, hərfləri böyüdərək hər bucaqdan yoxlayıb. \"Birdən aynalı yazı ilə həkk olunan 'Allah' sözünü gördüm,\" o deyir. Naxışları böyüdüb, güzgü ilə oxuduqdan sonra, ərəb dilində yazılan 'Allah' sözünü görmək mümkün olub Larsson adları təxminən 100 ədədlik hissələrdən onunda aşkarlaya bilib. O, hələ də parçaların üzərində işləyir və bu sözlər hər yerdə yanbayan gəlir. Bu tapıntılar, məzarın sakinləri haqqında yeni suallar yaradır. \"Qəbirlərin bəzilərinin müsəlmanlara aid olması şansı kifayət qədər mümkündür,\" o deyir. \"Vikinq məzarları qazıntılarımızın bəzilərinin DNT analizləri göstərib ki, dəfn olunan insanlar fars əsillidirlər. Burada da İslam üstün rol oynayıb. \"Bununla belə, yeni tapıntılar göstərir ki, Vikinq dəfn ənənələrinə İslam ideyaları böyük təsir göstərib. Məsələn, ölümdən sonra cənnətdə əbədi həyat.\" Onun komandası əynində dəfn geyimi olan bu bədənlərin coğrafi mənşəyini müəyyənləşdirmək üçün artıq universitetin immunologiya, genetika və patologiya şöbəsi ilə işləyir. Tarixi bir ilk Vikinq və müsəlman dünyaları arasındakı əlaqəni əks etdirən çoxsaylı tarixi dəlillərlə mövcuddur. Buraya şimal yarımkürəsində tapılan İslam qəpikləri də daxildir. İki ilə əvvəl tədqiqatçılar Birkadakı qadın məzarından tapılan gümüş üzüyü yenidən yoxlayarkən onun daşı üzərində \"Allah üçün\" ifadəsini aşkarlamışdılar. Yazı kufcə idi. İraqın Kufə şəhərində 7-ci əsrdə istifadə olunan bu dil, Quranın ilk dəfə qələmə alındığı ərəb dillərindən biridir. Larssonun tapıntısını daha da maraqlı edən məqam, parçaların Skandinaviyada ilk dəfə Əli adının qeyd olunduğu tarixi əşya olmasıdır. Kuficə \"Allah üçün\" ifadəsi həkk olunan Vikinq üzüyü, iki il əvvəl Birkada 9-cu əsr qadın məzarında tapılıb \"Əli adı Allah sözünü yanında dəfələrlə təkrarlanıb,\" o deyir. \"Bilirəm ki, Əli adı müsəlmanların Şiə məzhəbi üçün müqəddəs sayılır və burada yatan əlaqə məni maraqlandırdı.\" Əli, Məhəmməd peyğəmbərin əmisi oğlu və kürəkənidir. O, peyğəmbərin qızı Fatimə ilə evli olub. Eləcə də, Məhəmmədin ölümündən sonra, müsəlman icmasının dördüncü lideri olub. Baxmayaraq ki, həm sünnilər, həm də şiələr Əlini Məhəmməd mühüm əshabəsi sayırlar, onun şiələr arasındakı statusu daha yüksəkdir. Belə ki, onlar Əlini peyğəmbərin mənəvi varisi sayırlar. \"Əli sözü Şiə əlaqəsi olduğunu göstərir,\" Londonun İslam Kollecindən İslam elmləri üzrə proqram rəhbəri Amir De Marino deyir. \"Amma sözü müşayiət edən 'Allahın vəlisi' ifadəsi olmadan - mənası 'Allahın dostu' deməkdir - Şiə mədəniyyətinin bir hissəsi olduğunu demək mümkün deyil və ola bilsin ki, səhv formada köçürülüb,\" həm də İslam Bu gün Britaniya Şiə jurnalının baş redaktoru olan De Martino əlavə edir. \"Naxış göstərir ki, Əli Allah ilə bərabər anılır və ona görə də buna inanan çox qədim, ifrat, mistik hərəkat ilə əlaqənin olması çox azdır. \"Çox güman ki, səhvən köçürülmüş naxışdır.\" Bolqarıstanda yerləşən ələvi mavzoleyinin tavanındakı yazılarda - sağda - Allah, Məhəmməd və Əli adları oxuna bilən, sadə ərəbcə yazılıb. Soldakı mavi mistik naxışdakı üç ad isə bir-birinə kilidlidir Allah və Əli adları adətən şiələrin Ələvi və Bektaşi təriqətlərinin məzar və kitablarında rast gəlinən müəmmalı naxışlarda əks olunur. Amma onlar mütləq Məhəmməd sözü ilə müşayiət olunurlar. Bunlar bəzən aynalı yazı ilə göstərilir. Amma Larssonun tapıntılarından fərqli olaraq, bu misallara adətən həm aynalı yazı, həm də həmin aynalı yazının izahı həkk olunur. Larssona görə, onun tapıntısı gələcək üçün böyük ümidlər vəd edir. \"Artıq Vikinq naxışlarına fərqli baxa bilirəm və inanıram ki, Vikinq erasına aid bu parçalar və başqa tekstillərdə də İslam yazıları tapacağam. \"Kim bilir? Bəlkə yazılar tekstildən başqa əşyalarda da həkk olunub.\" Tharik Hüseyn, Londonda yaşayır və müsəlman irsi üzrə ixtisaslaşan jurnalist, səyyah yazar və diktordur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44768527", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44759758", "doc1": "রাশিয়া বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সাফল্যের পর ক্রোয়েশিয়া দলের আনন্দ উল্লাস। আর যদি তারা শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে পারে, তাহলে সেটা হবে ফুটবল বিশ্বকাপে নজিরবিহীন এক ঘটনা। শেষ পর্যন্ত যদি বেলজিয়াম চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে আয়তনের বিচারে এই দেশটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট দেশ যারা এই টুর্নামেন্ট জিতবে। বলে রাখা ভাল, বেলজিয়ামের আয়তন মাত্র ৩০,০০০ বর্গ কিলোমিটার, যা বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে, আরেক সেমিফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৪১ লাখ। যদি এই দেশটি চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে তারা হবে উরুগুয়ের পর বিশ্বের আরেকটি কম জনসংখ্যার দেশ যারা বিশ্বকাপের ট্রফি জিতবে। উরুগুয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দু'বার- ১৯৩০ এবং সবশেষ ১৯৫০ সালে। রাশিয়ায় এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে যে ৩২টি দেশ খেলছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হচ্ছে আইসল্যান্ড, উরুগুয়ে এবং পানামা। সেমিফাইনালের দুটো ম্যাচ সাধারণভাবে মনে করা হয়, কোন একটি দেশ আয়তনে যতো বড়ো হবে কিম্বা তার জনসংখ্যা যতো বেশি হবে সেদেশে ততো বেশি প্রতিভাবান ফুটবলার পাওয়া যাবে। খেলাধূলার বিভিন্ন টুর্নামেন্টেও হয়তো তাদের সাফল্যের সম্ভাবনাও হবে বেশি। এই ধারণার বড় রকমের ব্যতিক্রম অবশ্য আছে: যেমন ভারত ও চীন। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন বেলজিয়াম ফেভারিট এমবাপে: কীভাবে হলেন ফরাসী ফুটবলের নতুন সেনসেশন ইউরোপীয় ফুটবলের সাফল্যে অভিবাসীদের ভূমিকা বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রাইনা। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার মতো দুটো দেশের সাফল্য প্রচলিত এই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। অতীতে যারা যারা বিশ্বকাপ জিতেছে, উরুগুয়ে ছাড়া, তাদের রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা। যেমন ব্রাজিলের লোকসংখ্যা ২০ কোটি ৭০ লাখ, জার্মানির আট কোটি ৩০ লাখ, ফ্রান্সের ছয় কোটি ৭০ লাখ, ইটালির ছয় কোটি, ইংল্যান্ডের পাঁচ কোটি ৩০ লাখ এবং আর্জেন্টিনার চার কোটি ৩০ লাখ। বেলজিয়াম এবং ক্রোয়েশিয়া এই হিসেবকে প্রচলিত ধারণাকে এবার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে। বেলজিয়াম সাধারণত 'ফুটবলের দেশের' চাইতেও সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বেশি পরিচিত 'চকলেট' এবং 'বিয়ারের দেশ' হিসেবে। এই দেশটি এর আগেও একবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল, ১৯৮৬ সালে। সেবছর বেলজিয়ামের যাত্রা থামিয়ে দিয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার দল আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়াও এর আগে সেমিফাইনাল খেলেছে, সেটা ১৯৯৮ সালে, ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। সে বছর ফুটবল সুপারপাওয়ার জার্মানিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে তারা সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। ১৯৯০-এর দশকে বলকান যুদ্ধ থেকে মাত্র বেরিয়ে আসা এমন একটি দেশের এই সাফল্য তখন সবার নজর কেড়েছিল। সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে একমাত্র উরুগুয়েই জিতেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কিন্তু তারা কীভাবে এটা সম্ভব করলো খেলাধূলার জগতে ছোট ছোট দেশের সাফল্যের কথা কিন্তু এর আগেও শোনা গেছে। এরকম একটি দেশের উদাহরণ হতে পারে বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের দেশ জ্যামাইকা। এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২১ লাখ। তবে ফুটবলের মতো খেলায় ছোট দেশ হয়ে এধরনের সাফল্য অর্জন করা একটু কঠিনই বটে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে যে বেলজিয়াম এবং ক্রোয়েশিয়ার এই সাফল্যের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুটো দেশের যেসব সম্পদ আছে ফুটবলের পেছনে সেসব ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারার কারণেই তারা বিশ্বকাপের এতোটা পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছে। বেলজিয়ামের জন্যে এই সম্পদ হচ্ছে - অর্থ এবং খেলাধূলার জনপ্রিয়তা। বিশ্বের ২০টি ধনী দেশের তালিকায় আছে বেলজিয়াম এবং বেলজিয়ানরা খেলাধুলার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সালে বেলজিয়ামে ফুটবল ক্লাবের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার। এসব ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ যা কীনা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলার। তরুণ ফুটবলার তৈরি করা বেলজিয়াম তার ফুটবল নিয়ে বড় ধরনের চিন্তাভাবনা শুরু করে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে। সারা দেশ থেকে তারা প্রতিভাবান ফুটবলারের খোঁজে শুরু করে নতুন পরিকল্পনা ও অভিযান। ফুটবল কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল সারাদেশে অল্পবয়সী ছেলেদের যেসব ফুটবল ক্লাব আছে সেগুলোতে প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে আরো বেশি দক্ষ করে তোলা। এর ফলাফল এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তারা। রাশিয়ায় যেসব ফুটবলাররা খেলছে তাদেরকে বলা হচ্ছে বেলজিয়ামের 'সোনালী প্রজন্মের' খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে রয়েছে এডিন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রাইনা এবং রোমেল লুকাকু। লুকাকু, যার পিতামাতা এসেছেন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে, তিনিও বেলজিয়ামের তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয়, অভিবাসী প্রজন্মের কাছে তো বটেই, বেলজিয়ানের যারাই জাতীয় দলের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের কাছে তিনি একজন 'পোস্টার বয়।\" আগামীকাল মঙ্গলবার দলটি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে ফ্রান্সের সাথে। আর এই ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে যারা খেলছে তাদের অনেকের পরিবারের যোগাযোগ আছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মরক্কো, পর্তুগাল এবং কসোভোর সাথে। বেলজিয়ামে ফুটবলের পেছনে যতো অর্থ খরচ করা হয়, ক্রোয়েশিয়ায় করা হয় তার তুলনায় তার খুব কমই খরচ করা হয়। কিন্তু তারপরেও তারা ক্রীড়াজগতে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। ২০১৬ সালের অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ২০৭টি দেশের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান ছিল ১৭ নম্বরে। আর স্বাগতিক ব্রাজিলের অবস্থান ছিল ১৩তম। ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মডরিচ। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ক্রীড়াজগতের জন্যে যথেষ্ঠ অর্থ খরচ না করা সত্ত্বেও ক্রোয়েশিয়ার এই সাফল্যের পেছনে কারণ কি? এর একটি ব্যাখ্যা হতে পারে- ইউগোস্লাভিয়ার আমলে খেলাধুলার পেছনে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিছুটা হলেও তার ফল পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। \"ফুটবল, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল এবং ওয়াটার পোলো - এসবে আমরা খুবই উচ্চমানের প্রশিক্ষণ পাচ্ছি। আর একারণেই খেলোয়াড়দের বড় ধরনের উন্নতি হচ্ছে,\" বলেছেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক একজন পরিচালক রোমিও জোযাক। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক তরুণ খেলাধূলার জগতের সাথে জড়িত। দেশটিতে নিবন্ধিত ফুটবলারের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার, যা মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশ। এই হার ব্রাজিলের চাইতেও বেশি। ফিফার তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ ফুটবল খেলে থাকে। বেলজিয়াম এবং ক্রোয়েশিয়ার আরো একটি সুবিধা হচ্ছে - এই দুটো দেশের ফুটবলাররা বিশ্বের বড়ো বড়ো ক্লাবের হয়ে খেলে থাকে। তারকা খেলোয়াড় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে খেলছে ১১ জন বেলজিয়ান খেলোয়াড়। স্পেনিশ ফুটবল ক্লাব রেয়াল মাদ্রিদের অন্যতম তারকা লুকা মডরিচ ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার। গত চারবারের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপে তিনবারই শিরোপা জিতেছে রেয়াল মাদ্রিদ। বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া- এই দুটো দেশেরই যে ২৩ জন ফুটবলারের স্কোয়াড আছে, প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে মাত্র দু'জন ঘরোয়া লীগের হয়ে গেলেন। আর বাকিরা খেলেন আন্তর্জাতিক পরিসরে। বলাবাহুল্য যে রাশিয়া বিশ্বকাপে এই দুটো দলের এতোটা পথ আসার পেছনে এটাও একটা বড় কারণ।", "doc2": "Belçika Dünya Kubokuna qazanmaq şansı olan dünyanın ən kiçik ölkəsidir. Belə kiçik ölkələrin yarımfinala nadir halda keçdiyi nəzərə alınanda isə, onların finala çıxması gözümüzə daha da böyük görünür. Belçika finalda qələbə qazanarsa, o, ərazi ölçüsünə görə bu turnirlərdə qələbə qazanan ən kiçik ölkə olacaq - Belçikanın ərazisi 30 min kvadrat kilometrdən bir qədər böyükdür. Cəmi 4,1 milyon əhalisi olan Xorvatiya isə 1950-ci ildə Uruqvayın qələbəsindən sonra Dünya Kubokunu qazanmaq şansı olan, əhalisi ən azsaylı ölkədir. Rusiyadakı Dunya Kubokunda yarışan 32 ölkədən yalnız İslandiya, Uruqvay və Panamada əhalinin sayı Xorvatiya əhalisindən azdır. Yarımfinallarda Belçika və Xorvatiyanın bu yay Rusiyadakı uğuru geniş yayılmış futbol stereotiplərinə uyğun gəlmir: həmin stereotiplərə görə, ölkə nə qədər böyük olsa, istedadlar tapmaq imkanı və idmanda uğur qazanmaq şansı da o qədər də böyük olur. Keçmiş Dünya Kuboklarına baxanda, Uruqvay istisna olmaqla , əksər qalib ölkələrin əhalisi çoxsaylı olub - Braziliya (207 miliyon), Almaniya (83 milyon), Fransa (67 milyon), Italiya (60 milyon), İngiltərə (53 milyon) və Argentina (43 milyon). Həm Belçika, həm də Xorvatiya bu trendləri alt-üst ediblər. Futbolundan daha çox öz şokoladı, pivəsi və kartof qızartması ilə tanınan Belçika bundan əvvəlki Dünya Kuboklarında yarımfinala 1986-cı ildə çatmışdı və o zaman Belçikanı yalnız Diego Maradonanın Argentina komandası dayandıra bildi. 1998-ci ildə Fransada yarımfinala doğru yolda Xorvatiya, futbol dünyasını Almaniyanı məğlub etməklə şoka saldı. Bu qələbə ölkə üçün hətta 1990-cı illərdə Balkan müharibəsinin başa çatmasından daha təsirli oldu. Uruqvay, Dünya Kubokunu qazanmış ölkələr arasında əhalisi ən az olanıdır. Onlar buna necə nail olublar? Əlbəttə, kiçik ölkələr də idmanda qələbə qazanmağın nə olduğunu dadıb. Buna ən aşkar nümunə cəmi 2,1 milyon əhalisi olan Yamayka təmsilçisi, sprint qaçışı üzrə çoxsaylı qızıl medalların sahibi Usain Bolt-dur. Belçika və Xorvatiya futbolda uğura öz ən yaxşı keyfiyyətləri hesabına nail olublar. Belçikanın üstünlüyü pul və idmanın populyarlığındadır. Belçika dünyanın ən zəngin 20 ölkəsi arasındadır və belçikalılar idmana çox ciddi yanaşırlar. Aİ statistikasına görə, Belçikada 2010-cu ildə 17 000 futbol klubu olub, həmin klubların öz sıralarına cəlb etdiyi üzvlərin ümumi sayı isə təxminən 1,35 milyon təşkil edib – bu isə əhalinin təxminən 10 faizi deməkdir. Gənc oyunçuların inkişafı 1986-cı ilin Dünya Kubokundakı uğurdan 20 il sonra Belçika futbol rəsmiləri gənc istedadların ölkənin futbol klublarında inkişafı üçün tədbirlər planını işləyib hazrladılar. Görülmüş tədbirlərin bəhrəsini Belçika futbolunun yeni \"qızıl nəslinin\" nümayəndələri Eden Hazard, Kevin De Bruyne və Romelu Lukaku bu yay Rusiyada nümayiş etdirdilər. Yeri gəlmişkən, valideynləri Konqo Demokratik Respublikasından (KDR) olan Romelu Lukaku, eyni zamanda, Belçika əhalisinin immiqrant kəsiminin birinci və ikinci nəsil istedadların inkişaf etdirilməsi proqramının uğur nümünəsi və reklamı da sayılmaqdadır. Rusyada keçirilən Dünya Kuboku finalına çıxmaq uğrunda Fransa ilə oynayacaq Belçika komandasında kökləri KDR, Mərakeş, Portuqaliya və Kosovodan olan futbolçular çıxış edəcək. Xorvatiyanın Belçika ilə müqayisə ediləcək maliyyə imkanları yoxdur, lakin Xorvatiya idmanda ardılcıl olaraq uğurlar qazanmaqdadır. 2016-cı ilin Olimpiya oyunlarında Xorvatiya 207 ölkə arasında 17-ci yeri tutdu, müqayisə üçün, Olimpiadanı qəbul edən ölkə Braziliya 13-cü yerə çıxdı. Luka Modric 1998-ci ilin uğurunu təkrar etmək ümidində olan Xorvatiya komandasının liderlərindəndir. Dövlət investisiyaları Xorvatiyanın uğuru hələ Yuqoslaviya dövründə idmana yatırılmış dövlət investisiyalarının bəhrəsilə bağlı ola bilər. “Bizdə futbol, həndbol, basketbol və su polosu kimi idman növlərində təlim-məşq səviyyəsinin keyfiyyəti yüksəkdir\", - Xorvatiya Futbol Federsasiyasının keçmiş rəhbəri Romeo Jozak qeyd edib. Xorvatiyada futbolun əhatəliyi dərəcəsi də gözlənilməz sürətdə yüksəkdir. Belə ki, Xorvatiyada qeydiyyatdan keçmiş futbolçuların sayı 120 000-dir, bu isə əhalinin 3 faizi deməkdir. Müqayisə üçün Braziliyada, FİFA statikasına görə, eyni göstərici 1 faiz təşkil edir. Belçika və Xorvatiya eləcə də futbol ulduzlarının aparıcı xarici klublarda oyun təcrübəsini yüksəltmələrindən də bəhrənəlirlər. Ulduz oyunçular İngiltərə Premier liqsında 11 Belçika futbolçusu oynayır. Xorvatiyanın ən böyük futbol ulduzu Luka Modric İspaniyanın məşhur Real Madrid klubunun əsas oyunçularından biridir və son 4 ildə 3 dəfə komandası ilə UEFA Çempionlar Liqasının qalibi adına layiq görülüb. Faktiki olaraq, Dünya Kubokunda hər iki komandaya çağırılmış 23 futbolçudan \"yerli\" , yəni öz ölkələrinin klublarında oynayanların sayı cəmi 2 nəfərdir. Xorvatiya və Belçikanın bu yay Rusiyada keçirilən Dünya Kubokunda bu qədər önə irəliləmələrinin əsas səbəbi də elə bundadır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51087492", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-51085692", "doc1": "ইরানের হয়ে অলিম্পিকস পদক জেতা প্রথম নারী খেলোয়াড় কিমিয়া আলীজাদেহ একুশ বছর বয়সী মিস আলীজাদেহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তিনি ইরান ত্যাগ করেছেন কারণ তিনি \"ভণ্ডামি, মিথ্যা, অবিচার এবং চাটুকারিতার অংশ হতে চান না\"। তিনি নিজেকে \"ইরানের লাখ লাখ নিপীড়িত নারীদের একজন\" বলে বর্ণনা করেন। যদিও খবরে বলা হয়েছে তিনি নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, কিন্তু আলীজাদেহ তার বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকসে তায়কোয়ান্দোতে ইরানের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়েন আলীজাদেহ। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখছেন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি তার সেই সাফল্যকে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য ব্যবহার করেছে। এমন সময় তিনি এই পক্ষত্যাগের ঘোষণা দিলেন যখন ভুল করে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ইস্যুতে ইরানে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তারা 'আমাকে অপদস্থ করেছে' তিনি লেখেন, \"আমি সেইসব লাখ লাখ নিপীড়িত নারীর একজন, ইরান যাদের নিয়ে বছরের পর বছর ধরে খেলেছে\"। \"তারা আমাকে যা লিখতে বলেছে তাই লিখেছি। তাদের নির্দেশমতোই বলেছি। তাদের নির্দেশিত প্রত্যেকটি লাইন আমাকে বলতে হয়েছে। তাদের কাছে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আমরা স্রেফ উপকরণ\"। তিনি আরো লেখেন, যদিও সরকার তার সাফল্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, কিন্তু কর্মকর্তারা তাকে নানাভাবে কথার প্যাচে ফেলে অপদস্থ করতো। যেমন তারা বলতো, 'ধার্মিক নারীদের পা ছড়ানো উচিত না'। ইউরোপে নিমন্ত্রণ পাওয়া কিংবা কোন লোভনীয় প্রস্তাব পাওয়ার অস্বীকার করেছেন আলীজাদেহ। তিনি কোন দেশে গেছেন সেটাও নিশ্চিত করেননি। গত সপ্তাহে যখন আলীজাদেহর পালিয়ে যাবার খবর প্রথম চাউর হয় তখন ইরানীরা চমকে ওঠে। ইরানী রাজনীতিবিদ আবদোলকরিম হোসেইনজাদেহ ইরানের 'মানবসম্পদ পালিয়ে যাবার' জন্য দেশটির 'অযোগ্য কর্মকর্তাদের' দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা খবর দেয়, \"ইরানের তায়কোয়ান্দোতে আঘাত। কিমিয়া আলীজাদেহ নেদারল্যান্ডসে অভিবাসী হয়েছেন\"। সংস্থাটি আরো খবর দিচ্ছে, আলীজাদেহ ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকসে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে সেটি ইরানের হয়ে নয়। ইরান ত্যাগের ইচ্ছের ঘোষণা দেয়া এই নারী ক্রীড়াবিদ অবশ্য তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাননি। তবে বলেছেন, তিনি যেখানেই থাকেন না কেন সবসময় 'ইরানের সন্তান'ই থাকবেন। আরো খবর: ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা একুশ বছর ধরে বাসে ঘুমিয়েছেন 'নাইট রাইডার' দাবানলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ", "doc2": "2016-cı ildə Rio Olimpiadasında Kimya Əlizadə taekvondo güləşində İran üçün bürünc medal qazanıb 21 yaşlı Əlizadə sosial mediada \"ikiüzlülük, yalan, haqsızlıq və yaltaqlığın\" bir hissəsi olmaq istəmədiyi üçün İranı tərk etdiyini yazıb. O, özünü \"İrandakı milyonlarla məzlum qadından biri\" olaraq xarakterizə edib. Əlizadə harada olduğunu bildirməyib, lakin bəzi xəbərlərə görə, o, Hollandiyada məşq edir. 2016-cı ildə Rio Olimpiadasında o, taekvondo güləşində İran üçün bürünc medal qazanaraq adını ölkəsinin idman tarixinə yazdırıb. Sosial mediada yayımladığı postlarda o, İran İslam respublikasının rəsmilərinin onun uğurundan təbliğat vasitəsi kimi istifadə etdiklərini bildirib. Onun ölkəni tərk etməsi xəbəri İranda ABŞ-la kəskin qarşıdurma zamanı Ukrayna təyyarəsinin təsadüfən vurulması və buna görə İranda etiraz aksiyaların keçirilməsi günlərinə təsadüf edib. Kimya Əlizadə 2016-cı ildə Rio Olimpiadasında bürünc medal alarkən Məmurlar \"məni alçaldıb\" \"Mən İranda illərdir sıxıntılara məruz qalan və taleləri ilə oynanılan milyonlarla məzlum qadından biriyəm\", - o yazıb. \"Mənə söylənənləri geyinirdim və göstərişləri yerinə yetirirdim. Onların göstəriş verdikləri hər cümləni təkrarlayırdım. Heç birimiz onlar üçün əhəmiyyət kəsb etmirik, biz sadəcə vasitəyik.\" O əlavə edib ki, hökumət onun idman uğurlarından siyasi məqsədlər üçün yararlansa da, məmurlar onu \"qadına ayaqlarını aralamaq yaraşmaz\" kimi kəlmələrlə aşağılayıb. Əlizadə Avropaya dəvət olunduğunu və ya təklif aldığını inkar edib və hansı ölkəyə getdiyini bildirməyib. Keçən həftə Əlizadənin yoxa çıxması xəbəri iranlıları şoka salıb. İran siyasətçisi Əbdulkərim Hüseynzadə \"səriştəsiz məmurları\" İranın \"insan kapitalı axınına\" imkan verməkdə ittiham edib. Cümə axşamı yarırəsmi Isna xəbər agentliyi Kimya Əlizadənin Hollandiyaya mühacirət etdiyini bildirərək yazıb: \"İran taekvondosu üçün şok\". Agentliyin yazdığına görə, Əlizadə 2020-ci il Tokio Olimpiadasında yarışacağına ümid edir, lakin İran bayrağı altında çıxış etməyəcək. İrandan ayrılmaq niyyətində olduğunu bildirən idmançı harada olmasına baxmayaraq \"İran övladı\" olaraq qalacağını söyləyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44111398", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-44111167", "doc1": "মুসলিমরা সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থাকেন রোজার সময়। এতে দেহের ওপর কী প্রভাব পড়ে? গত কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। যেমন ধরা যাক নরওয়ের কথা। সেখানে এবছর মুসলিমদের প্রায় ২০ ঘন্টা সময় ধরে রোজা রাখতে হবে। আরো পড়তে পারেন: ভিন্ন বর্ণে বিয়ে: মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলো বাবা 'প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব' ছবিতে বিশ্বের নানা দেশের রোজার প্রথম দিন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারের প্রস্তুতি কিন্তু মুসলিমরা যে একমাস ধরে রোজা রাখেন, সেটা তাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলে? প্রথম কয়েকদিন: সবচেয়ে কষ্টকর শেষ বার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তবে যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কারণ এটি শরীরে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এ সময়টাতেই আসলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে। ৩ হতে ৭ রোজা: পানিশূন্যতা থেকে সাবধান প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে গরমের দিনে যদি শরীরে ঘাম হয়। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি। একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে। বেশি করে পানি খেতে হবে পানি-শূন্যতা রোধে ৮ হতে ১৫ রোজা: অভ্যস্ত হয়ে উঠছে শরীর এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের 'অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের' কনসালট্যান্ট ড: রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে। \"সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।\" \"কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।\" সব ধরণের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় ১৬ হতে ৩০ রোজা: ভারমুক্ত শরীর রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে। \"এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন\", বলছেন ড: মাহরুফ। \"শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর 'ক্ষুধার্ত' থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।\" \"যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।\" ড: রাজেন মাহরুফ তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ড: মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে। \"রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। কিন্তু একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না। \"শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।\" ড: মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেমন ৫:২ ডায়েট (পাঁচদিন কম খেয়ে দুদিন ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করা)। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।", "doc2": "Son illərdə Ramazan ayı şimal yarımkürəsində günün işıqlı vaxtının uzandığı və havaların daha isti keçdiyi yay aylarına təsadüf edib (bu il Ramazan ayının Britaniyada mayın 16-da başlayacağı gözlənilir). Nəticədə, misal üçün Norveç kimi ölkələrdə oruc tutan insanlar hər gün 20 saatadək yemək qəbul etməməli olacaq. Bu, insan səhhətinə necə təsir göstərə bilər? İnsan 30 gün ərzində oruc olanda bədənində hansı dəyişiklik baş verir? Orucluq zamanı sizin bədəniniz enerji yaratmaq üçün ilk növbədə ciyərdə toplanan qandakı şəkəri yandırır. Ən çətini - ilk bir-neçə gündür Real olaraq sizin bədəniniz \"orucluq vəziyyətinə\" son yemək qəbul etməyinizin üstündən 8 saat keçənə qədər düşmür. Bu vaxta yaxın müddət ərzində bağırsaqlarınızda qidalı maddələrin sorulması prosesi başa çatır. Bundan sonra orqanizmimiz ciyərimizdəki və əzələlərimizdəki qlyukoza ehtiyatlarını sərf etməyə başlayır. Qlyukoza ehtiyatları tükəndikdən sonra piy orqanizm üçün növbəti enerji mənbəyinə çevrilir. Orucluğun ilk günləri, bədən aclığa öyrəşənədək, daha ağır keçir. Bədəndə piyin yandırılması prosesi çəkinin azalmasına gətirib çıxarır, xolesterolun səviyyəsi və diabet riski azalır. Lakin qanda şəkərin səviyyəsinin azalması zəifliyə və letargiyaya səbəb olur. Sizdə başağrısı, başgicəllənməsi, öyümə yarana bilər, ağızdan pis iy gələ bilər. Bu zaman sizin aclıq səviyəniz ən yüksək dərəcəyə qalxır. Susuzluqla ehtiyatlı olun - 3-7-ci günlər Sizin bədəniniz orucluğa öyrəşəndə, piy dağılmağa başlayaraq qandakı şəkərə dönür. Günün orucluq çəkilən hissələri arasında fasilələrdə maye qəbulunu bərpa etmək lazımdır, əks halda tərləmə nəticəsində suyun itirilməsi suszlaşmaya (dehidratasiyaya) gətirib çıxara bilər. Orucluq dövründə, xüsusilə, yay aylarında su içmək olduqca vacibdir. Sizin yeməyinizn tərkibində karbohidratlar və piy kimi müvafiq miqdarda \"enerjili qida\" olmalıdır. Pəhrizin zülallar, duzlar və su kimi maddələrlə balanslaşdırılması da vacibdir. Öyrəşmə dövrü - 8-15-ci günlər Üçüncü mərhələdə, bədəniniz orucluğa tam öyrəşərkən, siz əhval-ruhiyyənizin yaxşılaşmasını hiss etməlisiniz. Cambridge-də Addenbrooke's xəstəxanasının Anesteziya və İntensiv Müalicə şöbəsinin məsləhətçisi doktor Razeen Mahroof deyir ki, bu mərhələdə digər müsbət cəhətlər də özünü göstərir. Həddən artıq kaloriyalı yemək bədənin özünübərpa funksiyasını və infeksiyalara tab gətirmək qabiliyyətini zəiflədə bilər. \"Gündəlik həyatda biz çox vaxt həddən artıq kaloriyalı yemək yeyirik, bu isə bədənə digər, misal üçün, özünübərpa funksiyasını normal yerinə yetirməyə imkan vermir\". \"Beləliklə, orucluq orqanizmin özünübərpasını asanlaşdlıra və infeksiyalarla mübarizə qabiliyyətini gücləndirə bilər.\" Bərpa - 16-30-cu günlər Orucluğun ikinci yarısında bədəniniz aclığa tamamilə öyrəçir. Sizin bağırsağınız, ciyəriniz, böyrəkləriniz və dəriniz bərpa dövründən keçir. Doktor Razeen Mahroof qeyd edir ki, uzunmüddətli orucluq arığlamağa kömək etmir. \"Orqanların funksiyası bu mərhələdə maksimum dərəcədə fəaliyyət rejiminə qayıdır. Sizin yaddaşınız və diqqətinizn yaxşılaşa bilər, özünüzü daha enerjili hissə edə bilərsiz\", - doktor Mahroof deyir. \"Bu mərhələdə sizin bədəniniz enerji üçün zülal işlətməməlidir. Bu vəziyyət davamlı orucluq müddətindən sonra yaranır.\" \"Orucluq yalnız sübhdən hava qaralanadək davam etdiyindən özümüzə enerjili yemək-içməklə dəstək vermək imkanımız olur\". Beləliklə, orucluq sağlamlığımız üçün xeyirlidirmi? Doktor Mahroof bu suala müsbət cavab verir, lakin bu müsbətliyin şərti var. \"Orucluğun bədənimizə xeyir verir, çünki nəyi və nə zaman yediyimizə köklənirik. Lakin 1 ay ərzində davam edən orucluq xeyirdisə, bundan daha uzun müddət ərzində aclıq çəkmək məsləhət görülmür.\" Ramazan ayı dövründə açlıq yalnız hava qaralanadək çəkilir, odur ki, orqanizmi qidalandırmaq və enerji almaq üçün əzələləri xərcləməmək imkanı qalır. \"Uzunmüddətli orucluq arıqlamağa kömək etmir, çünki bu zaman bədəniniz artıq piyi enerjiyə çevirmək mərhələsini bitirib, enerji əldə etmək üçün əzələləri yandırmağa başlayır. Bu yaxşı hal deyil, çünki bədəninizin \"aclıqçəkmə vəziyyətinə\" düşdüyündən xəbər verir\". Həkim məsləhət görürür ki, Ramazan ayı xaricində aclıq epizodik olaraq çəkilsin və ya 5:2 nisbətində pəhriz saxlanılsın (həftənin 2 günü - aclıq, qalan günləri isə normal rejim). Onun fikrincə, bu, uzunmüddətli aclıqçəkmə rejimindən daha sağlam alternativdir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47824736", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-40801368", "doc1": "জীবনের তাগিদে অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে শিশুদের জলবায়ু পরিবর্তন শিশুদের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেই বিষয়ে এই প্রথম কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, \"জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের সবচাইতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা তাদের শিশুদের পর্যাপ্ত খেতে দিতে পারছে না, তাদের সুস্থ রাখতে পারছে না। তাদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।\" প্রতিবেদনটি বলছে, খরা বা সাইক্লোনের মতো মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির অর্থ হল এতে আক্রান্ত পরিবারগুলো আরও বেশি দরিদ্র হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত পরিবারগুলো যখন ঘরবাড়ি হারাচ্ছে, তখন সেই পরিবারের শিশুরা অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থ উপার্জনের জন্য কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। এর ফলে শিশুদের নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলছে, দায়িত্ব নিতে না পেরে মেয়ে শিশুদের অনেক পরিবার দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে বিশটি জেলার শিশুরা সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত অনেক পরিবার নিজের এলাকায় সর্বস্ব হারিয়ে এক পর্যায়ে কাজের খোঁজে শহরে চলে আসছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে ঠেকানোর মোবাইল অ্যাপ এলো বাংলাদেশে সেই সব পরিবারের শিশুদের জন্য পাচার এমনকি যৌন পেশায় বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সবচাইতে ঝুঁকিতে রয়েছে এক কোটি ২০ লক্ষ শিশু। বাড়ছে মেয়ে শিশুদের বাল্যবিয়ে যাদের বসবাস বাংলাদেশে নদীপথগুলোর পাশে, তাদের ক্ষেত্রে নদী ভাঙন একটি নিয়মিত ব্যাপার। নিয়মিত সাইক্লোনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৪৫ লক্ষের মতো শিশু, যারা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের মধ্যে রয়েছে বহু রোহিঙ্গা শিশু। এসব রোহিঙ্গা শিশু খুব দুর্বল আবাসন ব্যবস্থায় বসবাস করছে। খরা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৩০ লক্ষের মতো। হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, \"জলবায়ু পরিবর্তন বহু শিশুর বাল্যকাল কেড়ে নিচ্ছে।\" জীবনের তাগিদে তাদের অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে এবং নিজের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বলে বলছে ইউনিসেফ। অন্যান্য খবর: নাচতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করা হলো বিমানটি পড়ে যাওয়া থামাতে পারেননি পাইলটরা ভোট নিয়ে ভারতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন?", "doc2": "Xeyriyyə qrupuna əsasən uşaqlar aşırı dərəcədə az qidalanmaqdan əziyyət çəkir. Belə uşaqların əksər hissəsi epidemiyanın ən geniş yayıldığı bölgədə yaşayır. Vətəndaş müharibəsinə düçar olmuş ölkədə infeksiyaya yoluxanların sayı 430 minə çatıb. Yetərli dərəcədə qidalanmayan uşaqların immun sistemi zəifləyir və xəstəliyə qarşı mübarizə qabiliyyəti aşağı düşür. Onların infeksiyadan ölmək təhlükəsi ən azı 3 dəfə artıqdır, xeyriyyə cəmiyyəti bildirir. Məlumata əsasən 200 minədək uşaq aclıqdan ölə bilər. Aprel ayından bəri 1900-dən çox insan xəstəlikdən ölüb, bunlardan üçdə biri 15 yaşına çatmamış yeniyetmələrdir. Yəmən böhranının qurbanları Vəba nisbətən asan müalicə olunur. Lakin ölkənin darmadağın olmuş səhiyyə infrastrukturu, ərzaq və tibbi ləvazimatın çatışmazlığı xəstəliklə mübarizəyə maneə törədir. Xeyriyyə cəmiyyəti bildirir ki, Yəmən uşaqları hazırda \"aclıq və xəstəlik tələsindədir\". Save the Children qrupunun ölkə üzrə direktoruna əsasən vəba və az qidalanmanı səhiyyə sisteminin mövcud olduğu halda aradan qaldırmaq çətin deyil. \"Lakin xəstəxana və klinikalar məhv edilib, səhiyyə işçilərinə bir ildən artıqdır ki, maaş ödənilmir və mühüm yardımın çatdırılmasına əngəl törədilir\", - Tamer Kirolos deyib. Xeyriyyə təşkilatının bəyanatından əvvəl BMT Yəməndəki vəziyyəti \"işıq ucu görünməyən\" və \"acınacaqlı\" kimi dəyərləndirib. Beynəlxalq qurumun rəqəmlərinə əsasən 20 milyon əhalisi olan ölkə sakinlərinin üçdə ikisinin humanitar yardıma ehtiyacı var."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44433973", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44456813", "doc1": "শিশুরা স্কুলে যাওয়া শুরু করলেও অল্প সময়েই তারা ঝড়ে পড়ে বৈঠকের জন্য তারা একদিন আগেই সিঙ্গাপুর গেছেন। কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিই থাকবে তাদের আলোচনার টেবিলে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা যে নিজ দেশেই মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।তারা শিকার হচ্ছেন মানবাধিকার লংঘনের। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ইস্যুর কাছে মানবাধিকারের প্রশ্ন এখন বিশ্বে চাপা পড়ে গেছে। দুই নেতার আলোচনার টেবিলে ঠাঁই পচ্ছে না মানবাধিকার ইস্যু। যদিও জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লংঘনের বিষয় নিয়ে বলে আসছে। আরো পড়ুন: অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা চায় উত্তর কোরিয়া? নেতার হোটেল বিলের টাকা নেই উ. কোরিয়ার? উত্তর কোরিয়ায় সবকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে কিম পরিবারের তিন পুরুষ শাসন করে আসছে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটিকে। বর্তমান নেতা কিম জং আন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি পুরোপুরি আনুগত্য দেখিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে দেশটির নাগরিকদের। প্রত্যেক নাগরিকের ওপরই ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আর দেশের অর্থনীতি, সেটিতো সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে। মানুষের খাদ্য, জ্বালানিসহ মৌলিক বিষয়গুলোতে ভয়াবহ সংকট রয়েছে। কিন্তু কিম জং আনের সরকার অর্থ ব্যয় করছে পরমাণু এবং ক্ষপনাস্ত্র কর্মসূচিতে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এর মন্তব্য হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্র।পরমাণু কর্মসূচির পিছনে অর্থ ঢালতে গিয়ে সরকার দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের খাবার কেড়ে নিচ্ছে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমই দেশটির মানুষের তথ্য জানার একমাত্র জানালা গণমাধ্যমও সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে উত্তর কোরিয়ায় গণমাধ্যমের বিন্দুমাত্র স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় কঠিনভাবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স সর্বশেষ বিশ্বের ১৮০টি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক প্রকাশ করেছে, তাতে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ১৮০তম। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকেই নাগরিকদের খবর, বিনোদন বা সব ধরণের তত্যের খোরাক মেটাতে হয়।কিন্তু তাতে থাকে শুধু সরকারের প্রশংসা। পরিস্থিতি সেখানে এতটাই ভয়াবহ যে কেউ দেশের বাইরের বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে কিছু জানার চেষ্টা করলে তাকে জেলে যেতে হয়। অভিজাতরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।তাতেও নজরদারি আছে।দেশের বাইরে ফোন করা যায় না। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, কালোবাজারির মাধ্যমে কিছু চীনা মোবাইল ফোন পাওয়া যায়, গোয়েন্দা সংস্থার নজরে পড়লে, ফোন ব্যবহারকারি ব্যক্তিকে হয়রানি পোহাতে হয়। উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে অভিজাতদের কেউ কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই সেবাও নজরদারির বাইরে নয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা কতটা আছে? উত্তর কোরিয়ার সংবিধান কিন্তু নিজস্ব বিশ্বাসের অধিকারের কথা বলা আছে। সেখানে বৌদ্ধ,শামানিস্ট এবং স্থানীয় চন্দোইজম ধর্মের অনুসারি রয়েছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গির্জাও সেখানে আছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে সেখানে লোকদেখানো কিছু কর্মকান্ড আছে।আসলে নাগরিকদের কিম পরিবারের বন্দনা করা ছাড়া ধর্মীয় কোনো স্বাধীনতা নেই। উত্তর কোরিয়ায় তুচ্ছ কারণেও জেলে যেতে হয় বন্দীদের জন্য শর্ত অনেক কঠিন দেশটিকেই বিশ্বের উন্মুক্ত কারাগার বলা যায় বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ব্র্যাড অ্যাডামস। সামান্য বিষয়ে কারাদন্ড হতে পারে।আর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা সেখানে কোনো বিষয়ই নয়।প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদও করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হলে তাঁর পুরো পরিবারকেই চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হয়। কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা বা ডিভিডি বা কিছু দেখে, তাহলে তাকেও বন্দী করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় সোয়া লাখের বেশি মানুষ কারাগারে রয়েছে। ২২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষার্থী উত্তর কোরিয়া বেড়াতে গিয়ে ১৭ মাস জেল খেটেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে এক শিক্ষার্থী উত্তর কোরিয়া বেড়াতে গিয়ে ১৭ মাস জেল খেটেছে নাগরিকের শ্রমের উপরও জবরদস্তি চলে দেশের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে বছরের কোনো না কোনো সময় সরকারের কাছে বিনামূল্যে শ্রম দিতে হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ নিয়েও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছিল। উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যাওয়া সাবেক একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, বছরে দু'বার তাদের স্কুল থেকে জোর করে বিনামূল্যে কাজ করিয়ে নেয়া হয়েছিল। চীন, কুয়েত এবং কাতারে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার নাগরিককে ক্রীতদাসের মতো নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করতে পাঠানো হয়।তারা নামমাত্র যে পারিশ্রমিক পান, তারও বড় অংশ সরকার নিয়ে নেয়। নাগরিকদের বিনামূল্যে শ্রমও দিতে হয় নারীদের কোন অধিকারই সেখানে নেই উত্তর কোরিয়া নিজেদের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও সেখানে নারীরা চরম বৈষ্ণ্যমের শিকার। তাদের শিক্ষা এবং কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। আর আহরহ ঘটে যৌন হয়রানির ঘটনা। ফলে নারীদের জীবন সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিশুরাই বা কতটা নিরাপদে আছে? প্রাথমিক স্কুল থেকেই শিশুদের ঝড়ে পড়ার হার উদ্বেগজনক। শিশুরা স্কুল যাওয়া শুরু করে। কিন্তু পরিবারকে সাহায্য করার জন্য শিশু বয়সেই অর্থ আয়ের চেষ্টা করতে হয়।ফলে তাদের আর স্কুলে যাওয়া হয়না। স্কুলের পাঠ্যক্রম রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত। এই পাঠ্যক্রম দিয়ে জানার পরিধিও সীমিত করে রাখা হয়েছে। ইউনিসেফ এর হিসাব অনুযায়ী দুই লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার নাগরিকদের অধিকার নিয়ে সমালোচনা অস্বীকার করে আসছে। তবে মানবাধিকার কর্মি ব্র্যড অ্যাডামস এর মন্তব্য হচ্ছে,উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতিকে তলাবিহীন গভীর কূপের সাথে তুলনা করা যায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ট্রাম্প-কিমের বৈঠকস্থল সিঙ্গাপুরের দ্বীপটি কেমন? পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কিম ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ১২ই জুনের বৈঠকে কী চাইবে উত্তর কোরিয়া?", "doc2": "Onların tarixi görüşü Sinqapurda keçirilir. Şimali Koreya lideri deyib ki, yol asan olmasa da tərəflər maneələri aşmalı olub. İki liderin imzaladığı bəyannamədə Pxenyan Koreya yarımadasının nüvəsizləşdirilməsinə dair öhdəliklərinə sadiq qaldığını təsdiqləyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42281682", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/analysis-42314632", "doc1": "আরবী সংবাদপত্র রাই আল-উয়ুমের সম্পাদক ও মধ্য প্রাচ্য বিশেষজ্ঞ আবদেল বারি আতওয়ানের ব্যক্তিগত মতামত যার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ভাষা বিভাগগুলোর সামজিক বিষয়ক সংবাদদাতা ভ্যালেরিয়া পেরাস্যো। জেরুসালেমে আল আকসা মসজিদের সামনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লীরা। এখন যখন তারা বুঝতে পারছে যে আমেরিকা ইসরোয়েলেরই পক্ষ নিচ্ছে, তখন তাদের মনে হতে পারে যে তাদের অনুভূতি বা আবেগের তোয়াক্কা আমেরিকা করে না অথবা ওই এলাকার স্থিতিশীলতা নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথা নেই। যে বিষয়টাতে মুসলিম বিশ্ব সবসময়েই অখণ্ড মনোভাব পোষণ করে এসেছে সেটা হল ফিলিস্তিনি ইস্যু। সিরিয়া নিয়ে তাদের মতভেদ থাকতে পারে, ইরাক নিয়ে তাদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু যখন ফিলিস্তিনের বিষয় আসে এবং বিশেষ করে পবিত্র স্থান জেরুসালেম প্রসঙ্গে তারা অভিন্ন অবস্থান নেয়। সামনের দিকে তাকাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এর একটা প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা যেতে পারে, যেখানে এই ইস্যুতে অভিন্নতা প্রধান হয়ে উঠতে পারে এবং একটা প্রতীকী পর্যায়ে মুসলিম বিশ্বের সংহতি আরও জোরালো করে তুলতে পারে। বিশেষ করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, এবং তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে আমেরিকা দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আরব ও তুর্কী পত্রপত্রিকায় ক্ষোভ ও বিস্ময় এটা অবশ্য নতুন কোন ইস্যু নয়। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে আরেকটা ইন্তিফাদা যে হবে এটা ভাবা অযৌক্তিক কিছু নয়। হামাস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছে। মুসলিম দুনিয়ায় একটা বিশ্বাস দানা বেঁধেছিল যে একটা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে দিয়ে সমাধানের একটা পথ, একটা শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথ হয়ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু অসলো চুক্তির ২৩ বছর পর আসলে কিছুই হয়নি। ওয়েস্ট ব্যাংক এবং জেরুসালেমে ৮ লক্ষ ইসরায়েলি বসতি তৈরি হয়েছে। কাজেই এই সিদ্ধান্তের ফলে শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারের বদলে তার যে পুরোপুরিই মৃত্যু ঘটেছে এ ব্যাপারে এখন কারো মনেই যে আর সন্দেহ নেই সেটা বলা যায়। আমাদের এখন মধ্য প্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের মধ্যে থাকার কথা। এখন ট্রাম্প কীভাবে সেটা করবেন এবং একইসঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়াকে কীভাবে তিনি রক্ষা করবেন? এটা যে অসম্ভব এখন সে ধারণাটাই প্রকট হচ্ছে। জেরুসালেমের ভবিষ্যত রয়েছে এর মূলে। ইসরায়েলিদের কথা ভেবে যদি জেরুসালেমকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাপ করার জন্য কী বাকি থাকবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর ওয়েস্ট ব্যাংকে বিরাজ করছে উত্তেজনা অদূর ভবিষ্যতে এর একটা পরিণাম দেখা যাবে। প্রতিবাদ বিক্ষোভ হবে, সহিংসতার হুমকি রয়েছে, আরেকটি ইন্তিফাদা হতে যাচ্ছে। এরপরেও কী ফল হবে তা স্পষ্ট নয়। শুধু যেটা স্পষ্ট সেটা হল মানুষ ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভে সামিল হয়েছে ৫৬টি মুসলমান প্রধান দেশের ১৫০কোটি মানুষ, যা বিশ্বের জনসংখ্যার ২২ শতাংশের বেশি। কারণ মক্কা আর মদিনার পর জেরুসালেম তাদের সবার জন্য পবিত্র একটি স্থান। এটা একটা অপমান এবং এর পেছনে কোন যুক্তি নেই। আমেরিকা কেন তার দূতাবাস সরিয়ে নিতে চাইছে, আর সেটা এখন কেন চাইছে? আসলে একটা পরাশক্তি চাইছে ইসরায়েলের যুক্তিকে স্বীকৃতি দিতে এবং সেই স্বীকৃতি তারা দিচ্ছে এমন একটা স্থানকে ঘিরে যেটা মুসলমানরা মনে করে পবিত্র এবং যেটা তাদের একান্ত নিজস্ব। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কি অন্য মতানৈক্যকে জোড়া দেবে? ৫৬টি মুসলিম প্রধান দেশের মধ্যে বহু বড়ধরনের মতানৈক্য আছে। সেগুলো সূক্ষ্ম, ব্যাপক এবং জটিল। জেরুসালেম ইস্যুর থেকেও সেগুলো অনেক বড়। বেথলেহেমে সীমান্ত প্রাচীরের গায়ে ট্রাম্পের ছবিতে ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ বেশিরভাগ মুসলমান প্রধান দেশ জেরুসালেম প্রশ্নে তাদের মতভেদ দেখাবে না কারণ ওই শহর মুসলমানদের জন্য অভিন্ন গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু এসব বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে যা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। অন্য যে বিষয়ে বড়ধরনের পরস্পরবিরোধিতা তৈরি হল, সেটা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে। পশ্চিমা দেশগুলো ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু মি: ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিলেন তা হল আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার এবং সবচেয়ে ভাল অস্ত্র। এই দলগুলো এখন ভাবতেই পারে যে \"দেখ, যে আমেরিকা আমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা ইরাকে এবং সিরিয়ায় আমাদের শক্তি ধ্বংস করে দেবার পর এখন ইসরায়েলিদের পুরস্কৃত করছে, আরবদের নয়।\" এর ফলে আমাদের এলাকায় সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, তার ঢেউ ইউরোপ এবং আমেরিকায় গিয়েও পৌঁছতে পারে। জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবার পরিণামে সেখানে \"প্রতিশোধমূলক তৎপরতা\" চালানো হতে পারে। জেরুসালেমের পুরনো অংশ, ইসলামের তৃতীয় সবচেয়ে পবিত্র স্থান এই সিদ্ধান্ত জঙ্গীদের অনুকূলে কাজ করতে পারে, মধ্য প্রাচ্যে আমেরিকার যারা মিত্র আছে, যেমন মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমীরাত এই সিদ্ধান্ত তাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আমি মনে করি এই সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীতই হতে পারে। ফিলিস্তিনি ইস্যুতে এটা হয়ত মানুষকে মাঠের আন্দোলনে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারবে। তবে একটা সংহতি গড়ে তোলার বদলে এর ফলে ওই অঞ্চল আরও অশান্ত হয়ে উঠবে। এর বিপরীতমুখী দিকটা হল: এই পদক্ষেপ বিভিন্ন মুসলিম দেশের মানুষকে হয়ত একটা অভিন্ন জায়গায় নিয়ে আসতে সাহায্য করবে, কিন্তু একই সঙ্গে এই পদক্ষেপ উগ্রবাদ এবং জঙ্গী আদর্শকে আরও উদ্বুদ্ধ করতেও সাহায্য করবে।\"", "doc2": "Əl Əqsa məscidinin qarşısı İndi anlayanda ki, ABŞ İsrailin tərəfindədir, onlar amerikalıların regionun sabitliyində maraqlı olmadığını və onların hisslərinə əhəmiyyət vermədiyini düşünə bilərlər. Müsəlman dünyasını birləşdirən bu məsələ Fələstin problemidir. Onlar Suriya və İraqla bağlı fikir ayrılığına malik ola bilərlər, lakin Fələstinə, xüsusilə də Qüdsə gəldikdə onlar birdir. Bu çox mühüm irəliləyişdir: bu, birliyi önə çıxara və müsəlman dünyasında əlaqələri gücləndirə bilər. Trump-a və İsrailə qarşı, eyni zamanda, ABŞ səfirliyinin (Tel Əvivdən Qüdsə) köçürülməsi qərarına qarşı. Ərəb dünyası və Türkiyə qəzetləri Trump-ın qərarını pisləyirdi Lakin bu məsələ yeni deyil. Tarixə nəzər yetirsək, İntifada olacağını düşünmək üçün əsas da var. Həmas artıq üsyana çağırış edib. Müsəlman dünyasında belə bir inam var idi ki, Fələstin dövləti məsələsinin həlli üçün sülh yolu mümkündür. Oslo razılaşmasından 23 il keçsə də, heç nə əldə edilməyib. Qərb Sahilində və Qüdsdə 800 000 israilli məskunlaşıb. Ona görə də, bu qərarla sülh prosesinin tamamilə məhv edilməsi hissi möhkəmlənib. Biz sülh prosesinin ən son mərhələsindən keçməli idik. Trump-ın bunu etməsiylə eyni zamanda sülh prosesi necə qorumaq olar? Bunun mümkün olmadığı hissi yaranıb. Qüdsün gələcəyin bütün bunların mərkəzində dayanır. Əgər Qüds İsrailin paytaxtı kimi tanınırsa, proses zamanı fələstinlilər nə barədə danışacaqlar? Donald Trump-ın elanından sonra Qərb Sahilində gərginlik baş verib Yaxın gələcəkdə bunun nəticələri görünəcək. Artıq etiraz və nümayişlər keçirilir və yeni bir İntifada zorakılığı təhlükəsi gözlənilir. Nəticə tam aydın olmasa da, insanların qəzəbli olduğu aydındır. Əhalisinin əksəriyyəti müsəlman olan 56 ölkənin təxminən 1.5 milyardlıq əhalisi bu qəzəbdə birləşib, çünki Qüds onların hər biri üçün müqəddəs yerdir. Məkkə və Mədinədən sonra ən müqəddəs. Bu, heç şübhəsiz təhqirdir. Niyə axı ABŞ səfirliyini köçürsün və niyə indi? Bu supergüc müsəlmanların müqəddəs hesab etdiyi yeri İsrailə məxsus hesab edir. Bəs bu digər fərqlilikləri aradan qaldıracaqmı? Bu 56 ölkə arasındakı fərqlər çox böyükdür. Onlar gizlin və əhəmiyyətli, eyni zamanda çox kompleksdir, hətta Qüds məsələsindən də dərin. Fələstinlilər Bethlehem-da onları İsraillə ayıran divardakı Trump-ın şəklini qaralayıblar Müsəlman dünyasının əksəriyyəti Qüds məsələsinə gəldikdə bu fərqləri nümayiş etdirməyəcək. Lakin hökumətlər arasındakı fərqləri üstələmək asan məsələ deyil. Digər bir paradoks isə Amerikanın terrorçuluğa qarşı mübarizəsidir. Qərb ölkələri (İslam) radikalizminə qarşı mübarizə aparır, lakin Trump-ın atdığı bu adım, Əl-Qaidə və İslam Dövləti üçün ən böyük mükafat və əla silahdır. Bu qruplar deyə bilər ki, \"Baxın, bizə qarşı vuruşan Amerika bizi İraq və Suriyada məhv etdikdən sonra israilliləri mükafatlandırır, ərəbləri deyil\". Qədim Qüds İslamda üçüncü müqəddəs yer hesab edilir Qüdsün İsrailin paytaxtı kimi tanınması bizim dünyada terrorizmi və radikalizmi gücləndirəcək və eyni zamanda bu radikalizm \"qisas\" kimi ABŞ və Avropaya da çata bilər. Bu qərar radikalların xeyrinə işləyəcək və bu, ABŞ-ın müttəfiqləri olan Misir və Səudiyyə ərəbistanı kimi ölkələri də utandıracaq... ona görə də məncə bu, səmərəsiz addımdır. Bu addım Fələstin uğrunda insanları birləşdirə bilər, lakin bu, eyni zamanda bölgəyə narahatlıq gətirəcək. Paradoks isə bundan ibarətdir: bu, müxtəlif müsəlman ölkələrindəki insanları birləşdirə bilər, lakin eyni zamanda ekstremizm və radikalizmə də yol aça bilər\". Yazı, BBC Dünya Xidmətinin Sosial Məsələlər üzrə müxbiri Valeria Perassonun müsahibəsi əsasında yazılıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51337297", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39427868", "doc1": "ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষণ গণনা করা হয়। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায়। এসময় একদিকে যেমন উদযাপন অনুষ্ঠিত হয় তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা। স্কটল্যান্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, স্কটল্যান্ড গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল। এদিকে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে পার্টি করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা। বরিস জনসন প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন: \"অনেকের জন্য এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর আশা জাগানিয়া মূহুর্ত, এমন একটি মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি।\" \"আর অনেকেই রয়েছে যারা এক ধরণের ক্ষতি এবং শঙ্কা অনুভব করছেন।\" \"তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছে-আর তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি- যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে পুরো এই রাজনৈতিক গোলযোগ কখনো শেষ হবে না।\" \"আমরা এই সব অনুভূতিই বুঝি এবং সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্বটাও বুঝি-আমার দায়িত্ব হচ্ছে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।\" তিনি বলেন যে, \"ইইউ তার সব শক্তিমত্তা এবং প্রশংসনীয় গুণাবলী দিয়ে গত ৫০ বছরে এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যা আর এই দেশের জন্য উপযুক্ত নয়।\" সামাজিক মাধ্যমে জাতীর উদ্দেশ্যে এক বার্তা দেন বরিস জনসন \"আজ রাতে বলার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে এটাই যে, এটা কোন শেষ নয় বরং শুরু মাত্র,\" তিনি বলেন এবং \"এটি প্রকৃত জাতীয় নবায়ন এবং পরিবর্তনের একটি মুহূর্ত।\" যুক্তরাজ্যে এই মুহূর্তটি কেমন ছিল? আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ ত্যাগের ক্ষণ গণনা চলে এবং পুরো দেশ জুড়ে পাব এবং সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেক্সিট উদযাপন করতে পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। সেসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গায় এবং নাইজেল ফারাজের মতো শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থীদের বক্তৃতায় সমর্থন দিয়ে আনন্দ করে। পার্লামেন্ট স্কয়ারে উল্লাস করে ব্রেক্সিটপন্থীরা ব্রেক্সিট পার্টির নেতা বলেন: \"আজ আমরা এমনভাবে উদযাপন করবো যেমনটা এর আগে আর কখনো করিনি।\" \"এই মহান জাতীর আধুনিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় মুহূর্ত।\" এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীরা হোয়াইটহলে বিক্ষোভ করে এবং ইউনিয়নকে \"আন্তরিক বিদায়\" জানায়। স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিট বিরোধী র‍্যালী এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক জানানো হয়। মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দিনটিতে আরো যেসব উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড হয়েছে সেগুলো হলো: •ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনিয়ন পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। •সান্ডারল্যান্ড-প্রথম শহর যেখান থেকে ২০১৬ সালের গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রথম সমর্থন এসেছিল, সেখানে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। •১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একটি লাইট শো হয় এবং মলগুলোর বাইরে ইউনিয়ন পতাকা টাঙানো হয়। •এই মুহূর্তটিকে চিহ্নিত করতে ৫০ পেন্সের নতুন একটি মুদ্রা ছাড়া হয়। ডোভারের হোয়াইট ক্লিপসে ইউরোপ-পন্থী একটি দল একটি বার্তা তুলে ধরে নর্দান আয়ারল্যান্ডে, বর্ডার কমিউনিটি নামে ব্রেক্সিট বিরোধী একটি প্রচারণা গ্রুপ আয়ারল্যান্ডের কাছে আরমাঘ নামে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ করে। ঠিক ১১টার সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন ইইউ এর একটি পতাকার ছবি টুইট করেন এবং বলেন: \"স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপের কেন্দ্রে ফিরে আসবে স্কটল্যান্ড।\" স্কটল্যান্ডের জন্য একটি বাতি জ্বালিয়ে রাখুন বা #লিভ এ লাইট অন ফর স্কটল্যান্ড উল্লেখ করে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। কার্ডিফে ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন, ওয়েলস ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিলেও এটি একটি \"ইউরোপীয় জাতি\" হয়েই থাকবে। আরো পড়তে পারেন: ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতা, তবুও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ প্রধানমন্ত্রী জনসন কি রানিকে বিভ্রান্ত করেছেন স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শূন্যতা অনুভব করার কথা জানিয়ে র‍্যালী করে ইইউ পন্থীরা এখন কী হবে? যুক্তরাজ্য যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেই- তা এই মুহূর্তে খুব কম টের পাবে দেশটির নাগরিকরা। ইইউ এর বেশিরভাগ আইন বলবত থাকবে- যার মধ্যে রয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ যখন পরিবর্তনের সময় বা ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে তার আগ পর্যন্ত জনগণের মুক্ত চলাফেরা। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ধাপ কানাডার সাথে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সম্পর্কের মতোই যুক্তরাজ্য ইইউ এর সাথে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক করেছে যে সময় সীমা শেষ হওয়ার আগে চুক্তি করতে বেশ বেগ পেতে হবে যুক্তরাজ্যকে। ইউরোপ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকে ব্রিটিশ পতাকা সরিয়ে নেয় কর্মকর্তারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, বাণিজ্য আলোচনায় ব্রিটেন এবং ব্রাসেলস তাদের নিজ নিজ অধিকারের পক্ষে লড়াই করবে। তিনি যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান \"যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবদান রেখেছে এবং একে শক্তিশালী করায় ভূমিকা রেখেছে\" এবং বলেন, ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের শেষ দিনটি ছিল \"আবেগময়\"। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন: \"৭০ বছরের মধ্যে প্রথম মাঝ রাতে একটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে।\" \"এটি একটি ঐতিহাসিক সতর্ক সংকেত যা আমাদের সব দেশের শোনা উচিত।\" ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সতর্ক করে বলেন: \"যুক্তরাজ্য ইইউ'র মান থেকে যত দূরে সরে যাবে, একক বাজারে এর প্রবেশাধিকার তত কমবে।\" ব্রেক্সিট পার্টির এমইপিরা একজন ব্যাগপাইপারের পেছনে পেছনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে? যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন: \"আমি আনন্দিত যে, ব্রিটিশ নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইউকে এবং ইইউ একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।\" \"যুক্তরাজ্যের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরু থেকে আমরা তাদের সাথে শক্তিশালী, উৎপাদনশীল এবং সমৃদ্ধ সম্পর্ক গড়ে তোলা অব্যাহত রাখবো।\" যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত উডি জনসন বলেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের \"দীর্ঘ সমর্থন\" রয়েছে। এক বিবৃতিতে মিস্টার জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে আমেরিকার \"বিশেষ সম্পর্ক\" \"ব্রিটেন যে নতুন যুগের সূচনা করছে সেখানে আরো সমর্থন করবে, বিকশিত এবং শক্তিশালী হবে।\" ব্রাসেলসের গ্র্যান্ড প্লেস ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার রঙে আলোকিত করা হয় বেলজিয়াম এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করতে। এখানে কীভাবে পৌঁছালো ব্রিটেন? তৃতীয়বারের চেষ্টায় ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটিতে যোগ দেয় ব্রিটেন। এর দুই বছর পর এক গণভোটে এই জোটে থাকার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন আসে। নিজের দলের এমপি এবং নাইজেল ফারাজের ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির অব্যাহত চাপের মুখে ২০১৬ সালের জুনে কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ নিয়ে আরেকটি গণভোটের আয়োজন করেন। মিস্টার ক্যামেরন ইইউ-তে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালান কিন্তু আরেক কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে প্রচারণার মুখে খুবই কম ভোটে হেরে যান তিনি। ইউরোপের পক্ষে পড়ে ৪৮ভাগ ভোট আর বিপক্ষে পরে ৫২ভাগ ভোট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিস্টার ক্যামেরনের উত্তরসূরি টেরিজা মে, তার তৈরি করা ইইউ ছাড়ার চুক্তি পার্লামেন্টে প্রাথমিকভাবে পাস করালেও তা চূড়ান্ত করাতে বার বার ব্যর্থ হন এবং পরে তার জায়গায় আসেন মিস্টার জনসন, যিনি নিজেও তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারেননি। গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে ৮০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছিলেন মিস্টার জনসন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, \"ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন\" করবেন তিনি। ক্রিসমাসের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তিতে অনুমোদন দেন এমপিরা এবং সেই বিলটি চলতি বছরের শুরুর দিকে আইনে পরিণত হয়।", "doc2": "Britaniya Aİ-ə vida deyir: Həll olunmamış məsələlər Theresa May Britaniyanın Aİ-dən gedişini rəsmi surətdə başladacaq məktubu imzalayıb. Britaniyanın Aİ-dəki səfiri Sir Tim Barrow xanım May-ın imzaladığı altı səhifəlik məktubu Brüsseldə Aİ Şurasının prezidenti Donald Tusk-a təqdim edib. Bu, formal olaraq ayrılma prosesinin başlanması deməkdir. Britaniyanın Aİ-dəki səfiri Sir Tim Barrow xanım May-ın imzaladığı məktubu Aİ Şurasının prezidenti Donald Tusk-a təqdim edib Theresa May Britaniyanın Aİ-ni tərk etməsini təsdiqləyən məktubu imzalayır Keçən ilin iyun ayında Britaniya Avropa İttifaqını tərk etməklə nəticələnən referendum keçirib. Britaniyanın Aİ-ni tərk etməsi barədə müraciəti alan Avropa İttifaqı Şurasının prezidenti deyib ki, bu nə London nə də ki, Brüsseldə xoşbəxt bir gün deyil. Lakin Donald Tusk Brexit-də müsbət məqamların olduğunu da vurğulayıb. \"Brexit bizi, 27 ölkədən ibarət icmanı, daha qərarlı və əvvəlkindən daha vahid edib\". Onun sözlərinə görə Aİ ölkələri \"qarşıdan gələn çətin danışıqlar\" mərhələsində vahid qalacaq. Danışıqlar barədə mövzunu davam edərək Donald Tusk deyib ki, o və Avropa Komissiyası 27 ölkənin maraqlarını müdafiə etmək üçün güclü mandata malikdir. Britaniyanın ayrılma ödənişi Böyük Britaniya hökuməti, ölkə daxilindəki siyasi müzakirələrdə ara-sıra Aİ-dən \"ayrılma ödənişinin\" məbləği mövzusunda da tənqidlərə hədəf olur. Brüssel Brexitlə bağlı Londonun xərclərinin təxminən 60 milyard avro olacağını bildirir. Aİ-dən çıxmaqla bağlı konkret danışıqların başlanmasından sonra bu rəqəm ətrafında kəskin mübahisələrin aparılacağı gözlənilir. BBC-ə danışan Brexit naziri David Davis, 60 milyardlıq ödənişlə bağlı Brüsseldən hər hansı bir şərh almadığını bildirir. Nə baş verdi və verəcək?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47496587", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47435725", "doc1": "অ্যানাবেলের বয়স ১৫, তার এই বয়সেই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এর পর তার 'হট ফ্লাশ' - অর্থাৎ হঠাৎ করে গরম লাগতে থাকার অনুভূতি হতে লাগলো, এবং এসব লক্ষণ ক্রমাগত বাড়তেই থাকলো। অ্যানাবেলের বয়স মাত্র ১৫। তিনি বলছিলেন, \"আমি আমার বিজ্ঞানের ক্লাস করছিলাম, হঠাৎ অনুভব করলাম আমার মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে।\" \"আমার শিক্ষক তখন বললেন, 'এই হট ফ্লাশ আমারও হয় কারণ আমার এখন মেনোপজ (ঋতু বন্ধ) হচ্ছে।' তার এই কথাটাতেই আমার মনে খটকা লাগলো। তাহলে কি আমারও এমন কিছু হচ্ছে?\" এই সন্দেহ থেকেই তিনি ইন্টারনেট ঘেঁটে এ সম্পর্কে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করলেন। তাতে তিনি যা জানলেন তাতে মনে হতে লাগলো হয়তো সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটাই তার ক্ষেত্রে ঘটেছে। পরে ডাক্তাররা বললেন, তার স্বাভাবিক বয়েসের অনেক আগেই মেনোপজ হয়ে গেছে। অ্যানাবেল বলছেন, এ খবর শুনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন তার মা। \"তখন আমার মনে হলো আমি যদি চিৎকার করে কাঁদতে পারতাম। আমি আমার অনুভূতি সম্পর্কে অনেক কিছু লিখলাম, এবং ছবি আঁকার মধ্যে দিয়ে আমার মনের অনুভুতি প্রকাশের চেষ্টা করলাম\" - বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। অ্যানাবেল বলছিলেন, তিনি যে আর কখনো গর্ভধারণ করতে পারবেন না, বা নিজের সন্তান-সন্ততি নিয়ে পরিবার গড়তে পারবেন না - এ কথা মেনে নিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছিল তার মায়ের। মেনোপজ কি? সূত্র: যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা অ্যানাবেলের মত যুক্তরাজ্যের একজন সাধারণ কিশোরীর জীবনে এত বড় পরিবর্তন মোকাবিলা করা সহজ ছিল না। তিনি চান নি যে তার বন্ধুরা তার এই সমস্যা নিয়ে মন খারাপ করুক। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০ বছরের কম বয়স্ক নারীদের প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে মাত্র একজনের এরকম সমস্যা হয়ে থাকে। আনাবেল ছবির মধ্যে দিয়ে তার অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা করেছেন নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রেই এর কারণ থাকে অজানা এবং ডাক্তারের পক্ষেও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় না যে কেন এমন ঘটলো। অ্যানাবেলের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে । তার দেহে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন কমে গেছে। এই হর্মোন থেকেই মেয়েদের দেহে বিভিন্ন 'নারীসুলভ' শারীরিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হয় - যেমন তাদের চওড়া নিতম্ব এবং স্তনের আকার বৃদ্ধি। এই ইস্ট্রোজেনের অভাব পূরণ করার জন্য অ্যানাবেল এখন হর্মোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নিচ্ছেন। তাকে প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হয়। অ্যানাবেল বলছেন, \"কোন কারণে একদিন বড়ি না খেলেই আমার 'হট ফ্লাশ' হতে থাকে।\" অ্যানাবেল বলছেন, অনেকের ভাগ্যে এর চেয়েও খারাপ ঘটনা ঘটেছে। অ্যানাবেল এখন সংকল্প করেছেন যে তিনি কিছুতেই তার স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যাহত হতে দেবেন না। \"আমি আমার মনের দু:খ নিয়ে ঘরে বসে থাকতে চাই না। কারণ অন্য অনেক মেয়ের জীবনে এই বয়েসেই আমার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটতে পারে\" - বিবিসিকে বলছিলেন অ্যানাবেল। আমি বরং ভাবতে চাই যে আমার ভাগ্য ভালো যে আমার জীবনে এর চেয়েও খারাপ কিছু ঘটেনি।\" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: যৌনশিক্ষায় ঋতুস্রাবের পাঠ প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাসিক নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করছেন উগান্ডার পুরুষরা স্যানিটারি প্যাড তৈরির গল্প জিতে নিল অস্কার মাসিক বন্ধ হওয়া আর ধর্ষণই যেখানে নারীদের রুটিন", "doc2": "15 yaşlı Annabelle-də erkən menopauza aşkar edilib Lakin bundan sonra bədəndə istilik hiss edilməsi və qızartıların əmələ gəlməsi halları başladı. Bu cür hallar getdikcə daha ağır keçirdi. \"Sinifdə, dərs zamanı hiss etməyə başladım ki, üzüm qıpqırmızı qızarır\", - 15 yaşlı qız xatırlayır. \"Müəllimim dedi ki, qızarmalarımın səbəbi menopauza ilə əlaqəlidir və o anda mən sanki yuxudan ayıldım\". Annabelle keçirdiyi hal barədə daha çox məlumat almaq üçün internetə müraciət edib. Bir müddətdən sonra ona erkən menopauza diaqnozu qoyulub. Anabelle deyir ki, onun diaqnozu anasına daha ağır təsir edib \"Həmin anda ağlamaq istəyirdim\", - Annabelle BBC-yə müsahibəsində deyib. O deyir ki, keçirdiyi hislərini yazıları və təsviri yaradıcılıq vasitələrilə bölüşüb. Annabelle özünün nəsilartırma qabiliyyətinin aqibəti məsələsinə də toxunub. \"Düşünürəm ki, yaşa dolduqca bu cür hal mənə daha ağır təsir edəcək\", - o deyir. Annabelle-nin sözlərinə görə, onun heç vaxt hamilə ola bilməyəcəyi və ailəsinin olmaması ehtimalı ilə barışmaq anası üçün daha ağır olub. Menopausa nədir? Mənbə: Britaniya Səhiyyə Sistemi Yeniyetməlik çağını yaşayan Anabelle öz diaqnozu barədə xəbəri həmyaşıdı olan dostları ilə bölüşmək istəmir. Onun dostlarının çoxu üçün bu məsələ akktual deyil və Annabelle düşünmür ki, dostları onu anlayacaq. \"Onları öz problemlərimlə yükləmək istəmirəm\", - o deyir. Statistikaya görə, orta hesabla, yaşı 20-dən aşağı olan hər 10000 qadından yalnız birində erkən menopauza aşkar edilir. Annabelle öz hislərini təsviri yaradıcılıq vasitəsilə paylaşmağa çalışıb. Bütün menopauza hallarının 90 faizi kortəbii və səbəbsiz baş verir, odur ki, həkimlər bu halın yaranmasının səbəbini və izahını verə bilmirlər. Annabelle-nin yumurtalıqlarında yumurtaların əmələ gəlməsi prosesi dayanıb, estrogen hormonun səviyyəsi isə azalmaqdadır. Estrogen qadın hormonudur və onlarda enli omba və süd vəzi kimi \"qadın\" xüsusiyyətlərinin əmələ gəlməsinə təsir göstərir. Menopauza simptomlarını yumşaltmaq üçün həkimlər Annabelle-yə hormon terapiyası kursu yazıblar. Bu kurs gündəlik olaraq həb qəbul edilməsini nəzərdə tutur. \"Həb qəbul etməyəndə qızarmalar yenidən başlayır\", - o deyir. Annabelle deyir ki, \"ondan da pis vəziyytdə olanlar var\" Annabelle normal həyat yaşamaq niyyətindədir. \"Mən buna görə özüm üçün matəm qurmaq istəmirəm. Ola bilsin ki, mənimlə eyni yaşda olan başqa birinə məndən də ağır diaqnoz qoyulsun, onun daha ciddi xəstəliyi olsun, - Annabelle BBC-yə deyib. - Çalışıram özümə anladım ki, hələ bu yaxşıdır, bundan da pisi ola bilərdi\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42664424", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42686090", "doc1": "কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠকের সময় মিস্টার ট্রাম্প খুবই স্থূল এবং অরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে এক বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব দেশকে 'শিটহোল' বা 'পায়খানার গর্তে'র সঙ্গে তুলনা করেন বলে খবর দেয় মার্কিন গণমাধ্যম। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা এবং প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এরকম শব্দ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করছেন। কিন্তু ঐ বৈঠকে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় একজন সেনেটর ডিক ডারবিন দাবি করছেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে বর্ণবাদী শব্দ ব্যবহার করতে শুনেছেন। তিনি শুধু একবার নয়, কয়েকবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি কিছু আফ্রিকান দেশকে 'শিটহোল' বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল সহ অনেক সংবাদপত্রেই বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশিত হয়। এর কোন প্রতিবাদ হোয়াইট হাউজ থেকে করা হয়নি। সেনেটর ডিক ডারবিন বলেন, \"আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে গতকাল প্রেসিডেন্ট যে শব্দগুলো সেখানে ব্যবহার করেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে, ঐ ওভাল অফিসে বসে এর আগে কখনো কোন প্রেসিডেন্ট তা বলেছেন।\" অভিবাসন নিয়ে গতকাল রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দলীয় সেনেটরদের একটি দল একটি প্রস্তাব নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়েছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি তাদের বলেছিলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বা এরকম বিপর্যয়ের শিকার দেশগুলোর মানুষদের আশ্রয় দেয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত নরওয়ের মত দেশ থেকে অভিবাসীদের আনা। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রেসিডেন্টকে সরাসরি উদ্ধৃত করে বলছে, এর পর তিনি বলেছেন, \"এই সব 'শিটহোল' দেশ থেকে কেন লোকজনকে আমাদের দেশে আনতে হবে।\" সেনেটর ডারবিন বলেন, যখন প্রেসিডেন্টকে জানানো হয় যে 'টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাস' (টিপিএস) বা সাময়িক সুরক্ষা পাওয়া অভিবাসীদের বেশিরভাগই এল সালভাডর, হন্ডুরাস এবং হেইতির নাগরিক, তখন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'হেইশিয়ান? আমাদের কি আসলে আরও হেইশিয়ানের কোন দরকার আছে\"? তবে শুক্রবার সকাল থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক টুইট করে এরকম কথা বলার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, \"আমি হেইতির মানুষ সম্পর্কে বাজে কিছু বলিনি।\" বোতসোয়ানা সেদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এসব কথাবার্তা চরম দায়িত্বহীন, নিন্দনীয় এবং বর্ণবাদী।\" আফ্রিকান ইউনিয়ন বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য শুনে শংকিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট এসব কথা সত্যিই বলে থাকেন সেটা স্তম্ভিত হওয়ার মতো এবং লজ্জাজনক। তিনি বলেন, এটাকে 'বর্ণবাদী' বলা ছাড়া আর কিছু বলার সুযোগ নেই। আর যুক্তরাষ্ট্রে অশ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের একটি সংগঠন 'ন্যাশনাল এসোসিয়েশেন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপল' বলেছে, প্রেসিডেন্ট দিনে দিনে আরও বেশি করে বর্ণবাদ আর বিদেশি বিদ্বেষের গর্তের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন। কংগ্রেসের এক কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য সেডরিক রিচমন্ড বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যে আমেরিকাকে আবারও সেরা দেশে পরিণত করার নামে আসলে শ্বেতাঙ্গদের দেশে পরিণত করতে চাইছেন, এটা তার আরও একটা প্রমান।", "doc2": "Donald Trump deyib ki, \"mən irqçi deyiləm\" \"Müsahibə aldığının insanlardan ən az irqçi olan mənəm\", bazar gecəsi qolf oynamağa gedərkən jurnalistlərə müsahibə verən Trump deyib. ABŞ prezidenti Donald Trump-ın Oval Ofisdə qaçqınlar haqqında müzakirələr zamanı əsəbləşərək \"bu zibil çuxuru ölkələrdən insanları niyə qəbul edirik ?\" cümləsini işlətdiyi iddia edilib. Washington Post qəzetinin yaydığı xəbərdə Trump-ın bu cümləni Afrika ölkələri, El Salvador və Haiti haqqında istifadə etdiyi bildirilib. Trump iddialardan sonra yazdığı Twitter mesajında \"iclasda istifadə etdiyim üslub sərt idi, amma istifadə etdiyim üslub bu deyildi. Əslində, həqiqətən irəli sürülən təklif sərt idi\" deyib. Demokratlar partiyasının bəzi üzvləri Trump-ı bu sözlərinə görə \"irqçi\" adlandıraraq qınayıb. BMT-nin İnsan hüquqları üzrə Ali Komissarlığının sözçüsü Rupert Colville deyib ki, \"təsdiq olunarsa bu ABŞ prezidentinin sarsıdıcı və rüsvayçı şərhidir\". Donald Trump hakimiyyətə gələndən bəri bəzi ölkələrə qarşı sərt imiqrasiya siyasətini tətbiq etməyə çalışır. O, Grenn-Card lotereyasının ləğvinə də çağırır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49026625", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49028825", "doc1": "অ্যাপটি ভাইরাল হয়েছে- কিন্তু কতজন এর শর্তাবলী পড়েছেন? এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের চেহারার ছবি এডিট করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু গত কয়েক দিনে যখন থেকে ফেস এডিটিংয়ের এই অ্যাপটি ভাইরাল হয়েছে, তখন থেকে কিছু মানুষ এর শর্তাবলী নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করছে তারা। আরো পড়তে পারেন: গায়ের রং ফর্সা করার 'বর্ণবাদী' অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে হংকংয়ের বিক্ষোভ তবে ফেসঅ্যাপ এক বিবৃতিতে বলেছে, আপলোড করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের সার্ভার থেকে ছবি ডিলিট করে দেয় তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে যে, এর ব্যবহারকারীরা যে সব ছবি এডিটিং করার জন্য নির্ধারণ করেন শুধু সেসব ছবিই আপলোড করে থাকে অ্যাপটি। অন্য কোন ছবি নয়। ফেসঅ্যাপ কি? ফেসঅ্যাপ নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে তারা \"জাতিসত্ত্বা নির্ধারণকারী ফিল্টার\" নামে একটি ফিল্টার ব্যবহার করে খবরের শিরোনামে এসেছিলো। ওই ফিল্টারটি দিয়ে এক জাতির মানুষের চেহারা অন্য আরেকটি জাতির চেহারায় কেমন দেখায় তা প্রকাশ করা হতো। তবে প্রায় সাথে সাথেই এটির প্রতি নেতিবাচক সমালোচনা তৈরি হয় এবং পরে অ্যাপটি বাদ দেয়া হয়। হাতে আঁকা ছবিতেও কাজ করে অ্যাপটি অ্যাপটি কোন ধরণের অভিব্যক্তি ছাড়া মুখকে বা রাগান্বিত অভিব্যক্তি সহ মুখকে হাসিমুখে পরিণত করতো। এমনকি এটি মেক-আপ লুকও নিয়ে আসতে পারতো। কৃত্রিম মুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এই অ্যাপটি কাজ করতো। এর গাণিতিক পরিভাষা বা অ্যালগরিদম প্রথমে আপনার মুখের একটি ছবি নিতো আর পরে এটিকে নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করে প্রকাশ করতো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল লুক আনার জন্য এটি আপনার মুখ, থুতনি এবং গালে বিভিন্ন ধরণের রেখা সমন্বয় করার সময় অ্যাপটি আপনার ছবিতে দাঁত বের করা হাসিও জুড়ে দিতে পারতো। তাহলে সমস্যা কী? সম্প্রতি অ্যাপ ডেভেলপার জশুয়া নজি এক টুইটে অভিযোগ করেন যে, ফেসঅ্যাপ অনুমতি না নিয়েই ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের সংরক্ষিত ছবি আপলোড করছে। যার পরপরই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। ফরাসি এক সাইবার নিরাপত্তা গবেষক, যিনি ইলিয়ট অ্যালডারসন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন, তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। তিনি দাবি করেন যে, এ ধরণের বড় মাপের কোন আপলোডিং হচ্ছে না। ব্যবহারকারীরা যে ছবি জমা দিতে রাজি হয় সেসব ছবি নিয়েই কাজ করে এই ফেসঅ্যাপটি। ফেসঅ্যাপ বিবিসিকে এটা নিশ্চিত করেছে যে, ব্যবহারকারীর দেয়া ছবিই শুধু আপলোড করা হয়। ফেসিয়াল রিকগনিশন কিভাবে হয়? অনেকে বলছেন যে, ফেসঅ্যাপ দিয়ে ছবি থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ফেসিয়াল রিকগনিশন বা মুখের অবয়ব ও গড়ন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। আর এটা করা যেতে পারে, আপলোড করা ছবি ডিলিট করে দেয়ার পরও। কারণ ওই ব্যক্তির মুখের বৈশিষ্ট্য পুনরায় সংগ্রহ করা যায় এবং এ ধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়। \"না, ফেসিয়াল রিকগশিন প্রশিক্ষণের জন্য আমরা ছবি ব্যবহার করি না,\" বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়ারোস্লাব গনশারভ। তিনি বিবিসিকে বলেন, \"শুধু ছবি এডিটের জন্য আমরা এগুলো ব্যবহার করি।\" এখানেই কি শেষ? না। কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে যে, ক্লাউডে না পাঠিয়ে ফেসঅ্যাপটি যেহেতু তাত্ত্বিকভাবে শুধু স্মার্টফোনেই ছবি এডিট করে তাহলে এটিতে ক্রমাগত ছবি আপলোড করতে হয় কেন? ফেসঅ্যাপের যে সার্ভারে ব্যবহারকারীদের ছবি সংরক্ষিত হয় সেটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। অথচ ফেসঅ্যাপ নিজে একটি রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান যাদের সেন্ট পিটার্সবার্গে অফিস রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'আয়শার পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' ইবোলা নিয়ে ‘বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা হিন্দু ছাত্রীকে কোরান বিলির নির্দেশ ভারতের আদালতের ফেসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের এডিটিং করা সম্ভব সাইবার নিরাপত্তা গবেষক জেন মানচুন ওং এক টুইটে লেখেন, \"এর ফলে ফেসঅ্যাপ একটি সুবিধা পেয়েছে। কারণ অন্য কারো পক্ষে একই ধরণের আরেকটি অ্যাপ তৈরি করে সেটি কীভাবে কাজ করে তার গাণিতিক হিসাব বোঝা সম্ভব নয়।\" এ কথায় সমর্থন জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্টিভেন মার্ডক। বিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, \"ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এটা ভালো যে ছবিগুলোকে স্মার্টফোনের মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কিন্তু এটির গতি ধীর হবে, বেশি পরিমাণে ব্যাটারির চার্জ চলে যাবে আর ফেসঅ্যাপ প্রযুক্তিটি চুরি হওয়াও অনেক সহজ হয়ে যাবে।\" মার্কিন আইনজীবি এলিজাবেথ পটস ওয়েনস্টেইন বলেন, অ্যাপটির শর্তাবলী অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর ছবি বাণিজ্যিক কাজে - যেমন ফেসঅ্যাপের নিজস্ব বিজ্ঞাপন তৈরিতে - ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু টেক সাইট লাইফওয়্যার এর প্রধান সম্পাদক ল্যান্স উলানফ তার যুক্তিতে বলেন, এ ধরণের শর্ত টুইটারের শর্তাবলীতেও রয়েছে। ব্যবহারকারীরা কি এসব কিছু জানেন? অনেকের কাছে, এটাই হচ্ছে মূল চিন্তার বিষয়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক আইনজীবী প্যাট ওয়ালশে, ফেসঅ্যাপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার এমন শর্তের দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু কিছু সময়ে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। অ্যাপটিতে রয়েছে গুগল অ্যাডমব, যা ব্যবহারকারীদের গুগলের বিজ্ঞাপন দেখায়। মিস্টার ওয়ালশ বিবিসি নিউজকে জানান, এমনভাবে কাজটি করা হয়েছে, যে পদ্ধতিটি আসলে সুস্পষ্ট নয়। তিনি আরো বলেন, আর এর কারণে মানুষ তাদের প্রকৃত অভিমত ও নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্যর্থ হয়। মিস্টার গনশারভ বলেন, ফেসঅ্যাপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নীতির শর্তগুলো বিশেষায়িত। তিনি বলেন যে, বিজ্ঞাপন আদায়ের জন্য কোন ধরণের তথ্য বিনিময় করে না প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিবর্তে, অ্যাপটি বিশেষ সেবা বা বৈশিষ্ট্যর জন্য সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে অর্থ আয় করে। ড. মার্ডক বলেন, \"ফেসঅ্যাপের শর্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহারকারীর ছবি ব্যবহারে পূর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে যা চিন্তার বিষয় হলেও অনেকটা স্বাভাবিকই বটে।\" \"প্রতিষ্ঠানটি জানে যে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি আসলে তেমন কেউই পড়ে না। আর তাই যত বেশি পরিমাণে সম্ভব এসব শর্তাবলী জুড়ে দেয় তারা। এটা ভেবে যে, কখনও হয়তো কোনটি কাজে লাগবে, এমনকি এর অনেক কিছুই তাদের বর্তমান পরিকল্পনাতেও থাকে না।\" এ বিষয়ে ফেসঅ্যাপ কি বলছে? মিস্টার গনশারভ কোম্পানীটির দেয়া একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, ফেসঅ্যাপ এডিটিংয়ের জন্য শুধু ব্যবহারকারীর সরবরাহ করা ছবিই ব্যবহার করে। \"আমরা আর কোন ছবি স্থানান্তর করি না,\" বিবৃতিতে বলা হয়। \"আমরা হয়তো আপলোড করা ছবি ক্লাউডে সংরক্ষণ করি যার প্রধান কারণ হচ্ছে কর্মক্ষমতা এবং ট্রাফিক। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, ব্যবহারকারীকে যাতে প্রতিবার এডিটের সময় আলাদা আলাদা করে ছবি আপলোড করতে না হয়।\" \"বেশিরভাগ ছবিই আপলোডের ৪৮ ঘণ্টা পর সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেয়া হয়।\" বিবৃতিতে বলা হয়, ফেসঅ্যাপ যেহেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ বাস্তবায়ন করে তাই প্রতিষ্ঠানটির সাপোর্ট টিম খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। ফেসঅ্যাপ বলছে, তারা ব্যবহারকারীদের এ ধরণের অনুরোধ সেটিংস, সাপোর্ট, \"রিপোর্ট এ বাগ\" এবং \"প্রাইভেসি\" সাবজেক্ট লাইনে রেখে তারপর করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়নি। যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের দপ্তর বিবিসি নিউজকে জানায়, ফেসঅ্যাপ বিষয়ক উদ্বেগ নিয়ে গজিয়ে ওঠা নানা গল্প শুনেছেন তারা। বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখছেন। \"আমরা মানুষদের বলবো যে কোন অ্যাপে সাইন আপ করার সময় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কোন ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেবেন না,\" আইসিও এর এক মুখপাত্র বলেন।", "doc2": "\"FaceApp\" proqramı sizin üzünüzü daha gənc və ya daha yaşlı göstərə bilir Bu, 2017-ci ildə yaradılmış proqramın yeni funksiyasıdır. Daha əvvəl \"FaceApp\" istifadəçilərə rəngarəng və müxtəlif saç kəsimlərini \"sınaqdan keçirmək\" və ya özlərinin əks cins variantlarına baxmaq fürsəti yaradırdı. Neyron şəbəkələr bazasında çalışan bu proqramı Rusiyanın \"Wireless Lab\" şirkəti hazırlayıb. Şirkətin rəhbəri Yaroslav Qonçarov əvvəllər \"Yandeks\"də çalışıb. İnternetin Ukrayna seqmentindəki bəzi istifadəçilərdə şəxsi məlumatların qorunmasıyla bağlı narahatlıq yaranıb. \"FaceApp\" proqramı təhlükəlidirmi? BBC-nin Ukrayna xidməti rəqəmsal təhlükəsiz haqda ekspertlərin rəyini öyrənib. Proqram necə işləyir? Proqramın əsasını neyroşəbəkə təşkil edir. O, gənc və yaşlı insanlara aid milyonlarla şəklə \"baxaraq\" onların bir-birindən nəylə fərqləndiyini müəyyənləşdirib. \"İnternyus-Ukrayna\" təşkilatının nəzdindəki DSS380 Rəqəmsal Təhlükəsizlik Məktəbinin eksperti Pavel Belousov BBC-nin Ukrayna xidmətinə açıqlamasında bildirib ki, proqram həmin fəqrlərə əsasən insanların şəklinə qırışlar və ağ saçlar əlavə etməyi öyrənib: \"Çox real görüntülər yaranır, populyarlığın səbəbi budur. Proqram insanları əyləndirir, qocalıqda necə görünəcəklərini bilmək fürsəti yaradır. Ona görə də milyonlarla insanı əhatə edən böyük auditoriyanı cəlb edib\". Hazırda \"FaceApp\" həm \"AppStore\"-da, həm də \"Google Play\"-də ən populyar proqramlardan biridir. Təkcə \"GooglePlay\"-də proqramı 50 milyondan çox istifadəçi yükləyib. \"FaceApp\" hansı məlumatları toplayır? Proqramı yükləyənlər \"FaceApp\"-ın istifadəçi sazişinin şərtlərini qəbul etmiş olurlar. Bu şərtlər sayəsində proqram təkcə sizin şəklinizi yox, sizə aid məlumatları da əldə edir. \"Rəqəmsal təhlükəsizlik laboratoriyası\"nın rəhbəri İrina Çulivskaya deyir ki, \"Proqrama \"Facebook\" profilindən daxil olanlardan profildəki açıq informasiyaya, email ünvanına, paylaşım dairəsindən asılı olmayaraq bütün şəkillərə əlçatanlıq istənir. Smartfonlara yüklənən zamansa proqram ordakı bütün şəkillərə, hətta heç vaxt paylaşılmayanlara belə giriş əldə edir\". Proqrama \"Facebook\"-dan daxil olanda o, sizin soaial şəbəkədəki bütün şəkillərinizə giriş əldə edir, hətta açıq paylaşım etmədiklərinizə də. \"Bundan başqa, \"FaceApp\"-ın məxfilik siyasətində bildirilir ki, onlar sizin hansı xidmətlərdən istifadə etməniz, proqrama hansı cihaz vasitəsilə daxil olmanız, hansı saytları oxumanız və brauzerdəki bəzi başqa informasiyalar haqda məlumat toplayacaqlar\" - Çulivskaya belə deyir. Məlumatlardan necə istifadə olunur? Məlumatların bu şəkildə toplanmasında əlahiddə bir şey varmı? Çulivskaya bildirir ki, \"Əslində, eyni informasiyaları \"Facebook\" da, müxtəlif messencerlər də, hətta şəkilləri redaktə proqramları da toplayırlar\". Ekspert həmçinin qeyd edir ki, \"Bu cür proqramlardan istifadə etməyin haqqını siz öz şəxsi məlumatlarınızla ödəyirsiz. Məlumatlardan istifadəçiləri araşdırmaq və onlara uyğun xidmət və reklamlar təqdim etmək üçün istifadə olunur\". \"Proqram onun yükləndiyi cihazlar vasitəsilə məlumat toplayır. Və təbii ki, istifadəçini üzdən tanıyır, onun İP ünvanını və yüklədiyi digər proqlamları bilir, yəni özü üçün həmin istifadəçinin profilini formalaşdırır\" - Pavel Belousov belə deyir. Daha əvvəl bu proqram vasitəsilə müxtəlif rəngli və biçimli saç düzümlərini \"yoxlamaq\" olurdu İstifadəçilərin böyük auditoriyası bu proqrama geniş həcmdə informasiya toplamağa imkan verir. Ekspert deyir ki, \"Bu, detallı şəkildə və incəliklərinə qədər strukturlaşdırılmış nəhəng informasiya bazasıdır. Məlumatları reklam verənlərə ötürməklə qazanc əldə etmək, ya da onlardan öz məqsədləri üçün istifadə etmək olar\". Belousov əlavə edir ki, məlumatlardan necə istifadə edildiyini öyrənmək və ya buna hansısa şəkildə təsir etmək qeyri-mümkündür: \"Öz gizlilik siyasətində \"FaceApp\" bildirir ki, məlumatlarınızın təhlükəsizliyinə təminat vermir\". Beləliklə, sizə aid informasiyaların başına nə gələcəyini, onların kimin əlinə keçə biləcəyini yalnız proqramın yaradıcıları bilir. Bundan başqa, proqramı hazırlayan şirkətin satılması zamanı da təminat problemi yaranır - proqram vasitəsilə toplanmış məlumatlar yeni sahiblərə verilə bilər. Təhlükə nədədir? Rəqəmsal təhlükəsizlik üzrə ekspertlər deyilər ki, sizə aid məlumatların başına nə gələcəyini, onlara daha kimlərin giriş əldə edəcəyini heç kim bilmir Ekspertlər deyirlər ki, proqramın yaradıcıları rusiyalı olduqları üçün ona ehtiyatla yanaşmaq lazımdır. İrina Çulivskaya \"FaceApp\"-ın rusiyalılara məxsus \"Wireless Lab\" şirkəti tərəfindən hazırlanmasına diqqət çəkir: \"Şirkətin hüquqi ünvanı da Rusiyadadır və deməli, onlar bu ölkənin qanunvericiliyi çərçivəsində fəaliyyət göstərirlər. Ölkənin hüquq-mühafizə orqanları orda toplanan məlumatlara giriş əldə edə bilərlər\". \"Hesab edirsinizsə ki, Rusiyanın xüsusi xidmət orqanları məqsədyönlü şəkildə sizi izləyə bilərlər, ya da sizə aid heç bir məlumatın Rusiyaya göndərilməsini prinsipial olaraq istəmirsizsə, belə xidmət və proqramlardan uzaq durmanız yaxşıdır\". Çulivskaya deyir ki, prezidentlərin, müdafiə nazirlərinin və təhlükəsizlik xidməti rəhbərlərinin öz qocalıqlarına baxmamaları məsləhətdir: \"İstifadəçilərin böyük əksəriyyəti üçünsə bu, problem olmaz\". Pavel Belousov xəbərdarlıq edir ki, şirkət Rusiya güc strukturlarının sorğusu müqabilində sizin məumatlarınızı onlara ötürə bilər. O deyir ki, belə hallar bəzən hətta rəsmi sorğu olmadan da baş verir: \"Bunun 100% belə olacağını iddia etmək olmaz. Ola bilsin ki, məlumatlarınızın başına pis iş gəlməyəcək. İstənilən halda, mən bu proqrama etibar etməzdim\". Özünüzü necə qoruya bilərsiz? Çulivsakaya istifadəçilərə məsləhət görür ki, ancaq özlərinə lazım olan proqramları yükləsinlər: \"Kompüterinizə və ya smartfonunuza yüklədiyiniz proqramlara, o cümlədən, brauzerdəki genişləndirmələrə nəzər salın, istifadə etmədiyiniz və ya çox da lazım olmayan proqramları silin\". DSS380 Rəqəmsal Təhlükəsizlik Məktəbinin eksperti bir də bunu məsləhət görür: \"FaceApp\"ı mütləq yükləmək istəyirsizsə, qoy, bu, istifadə etdiyiniz əsas cihaz olmasın\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40271293", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40270713", "doc1": "আবাসিক ভবন 'গ্রেনফেল টাওয়ারে' ১২০টির মতো ফ্লাট ছিল। শহরের নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত 'গ্রেনফেল টাওয়ার' নামের ওই আবাসিক ভবনটিতে ব্রিটেনের স্থানীয় সময় রাত সোয়া একটার দিকে আগুন লাগে। প্রায় দুইশো'র মতো দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভবনে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স জানাচ্ছে, ভবন থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেনফেল টাওয়ারের সাত তলার বাসিন্দা পল মুনাকর কোনোরকমে ভবন থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন। \"আমরা যখন সিড়ি দিয়ে নামছিলাম তখন দেখলাম দমকলকর্মীরা ওপরে উঠছে। তারা আগুনের মধ্যে ঢুকে যেভাবে পারছে মানুষকে বের করে আনার চেষ্টা করছে\"- বিবিসিকে বলেন পল মুনাকর। তিনি জানান, ভবনে যে আগুন লেগেছে সেটা কিন্তু তিনি ফায়ার অ্যালার্মের মাধ্যমে বুঝেননি। রাস্তায় থাকা মানুষেরা চিৎকার করে বলছিল 'ঝাঁপ দিও না, ঝাঁপ দিও না' তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে ভবনে আগুন লেগেছে। \"আগুন থেকে বাঁচার জন্য কত মানুষ নিচে ঝাঁপ দিয়েছে আমি জানি না । কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে ভবনের ফায়ার অ্যালার্ম বাজেনি\", বলছিলেন মি. মুনাকর। অন্যদিকে জর্ডি মার্টিন নামে আরেকজন জানান আগুন দেখার পর প্রথমে তিনি দৌড়ে ভবনটির কাছে গিয়ে বাসিন্দাদের বেরিয়ে আসতে বলেন। \"আমি একজনকে পড়ে যেতে দেখেছি, শিশু কোলে এক নারীকে দেখেছি জানালার ধারে চিৎকার করছিল....।\" \"আমি সবাইকে বাইরে বের হতে বললেও ভবনে আটকে থাকা লোকজন চিৎকার করে বলছিলেন তাদের বাইরে বের হবার উপায় নেই। কারণ করিডোরের ভেতরটা পুরোটা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল সে সময়\"। অন্যদিকে বিবিসির সংবাদদাতা অ্যান্ডি মুর বলেন, \"ভবন থেকে ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখছি। আমরা বড় বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছি। কাঁচ ভাঙার শব্দও পেয়েছি।\" লন্ডনে এটি ভয়াবহ একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা জর্জ ক্লার্ক নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি রেডিও ফাইভকে জানিয়েছেন, \"আমার সারা গায়ে ছাই লেগে গেছে। আগুনটা কত ভয়াবহ হতে পারে চিন্তা করুন\"। \"আমি প্রায় ১০০ মিটার দূরে এবং পুরোপুরি ছাইয়ে ঢেকে গেছি\"। \"এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমি দেখেছি ভবনের উপরের দিকে কেউ টর্চ জ্বালাচ্ছিল। তারা অবশ্যই বের হতে পারেনি। হয়তো তারা বেঁচে নেই,\" বলছিলেন মি. ক্লার্ক। বিবিসির সাইমন লেডারমেন জানান, \"ভবনটি যেভাবে জ্বলছে, তা কয়েক মাইল দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে\"। ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ডেন ডেলি বলছেন, \"পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন জটিল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা\"। \"অনেক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি\" - বলেন তিনি। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া কয়েকজনকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদেরও ভবনটিতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এটাকে \"অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা\" বলে বর্ণনা করেছেন। আগুনের এই ঘটনার পর লন্ডন পাতাল রেলের হ্যামারস্মিথ এবং সিটি অ্যান্ড সার্কেল লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারা ছাদের ওপর থেকে আলো নাড়ানো দেখেছেন। ভবনে থাকা লোকজন ছাদের ওপর থেকে টর্চের আলো দিয়ে সাহায্যও চেয়েছেন। আর্তনাদও তারা শুনতে পেয়েছেন। ভবনটিতে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর পুলিশ বলছে, ভবনের ভেতর থেকে তখনো লোকজনকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: লন্ডনে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন পুরো ভবনটি জ্বলেপুড়ে গেছে", "doc2": "Londonun qərbində çoxmərtəbəli yaşayış binası yanır, \"ölənlər var\" Hadisə yerinə gələn yanğın söndürmə xidmətinin əməkdaşları binanın sakinlərini \"böyük sayda\" xilas edib. London Ambulans Xidməti 78 nəfərin xəstəxanalarda müalicə aldığını və onlardan 18-in vəziyyəti ağır olduğunu bəyan edib. 24 mərtəbəli binanın bəzi mərtəbələrində hələ də yanğın davam edir və onun aşmaq təhlükəsi barədə qorxular var. Hazırda 12 itkin düşmüş şəxs barədə məlumat media və sosial şəbəkələrdə yayılıb. Hadisə şahidləri deyir ki, onlar binanın yuxarı hissəsində mobil telefonlardan və ya məşəllərdən yayıldığı ehtimal edilən işıqlar görüblər. London Yanğın Komissarı Dany Cotton \"bir neçə ölümün\" baş verdiyini, lakin \"binanın ölçüsü və mürəkkəbliyi\" səbəbindən dəqiq rəqəm verə bilmədiyini vurğulayıb. O, binanın sakinlərinə polisdə qeydiyyatdan keçməyə tövsiyə edib ki, hakimiyyət onların təhlükə altında olmadığı barədə məlumatlansın. \"Gözlənilməz hadisənin\" səbəbinin hələ aydın olmadığını deyən xanım Cotton binanın vəziyyəti barədə spekulyasiya etməyin hələ erkən olduğunu, lakin yanğın söndürmə əməkdaşlarının içəridə xilasetmə əməliyyatları keçirməsi üçün kifayət qədər təhlükəsiz olduğunu deyib. 8-ci mərtəbədə yerləşən mənzildə yaşayan Paul Munakr binadan vaxtında çıxa bilib. \"Mən pilləkanlarla aşağı düşərkən yanğınsöndürənləri gördüm. Həqiqətən də möhtəşəm yanğınsöndürənlər doğrudan da yuxarıya qalxırdılar ki, mümkün olduqca çox adamı binadan çıxara bilsinlər\", o BBC-ə deyib. Cənab Munakr yanğın həyəcanının səsləndirilmədiyini və yanğının baş verdiyini yalnız küçədən insanların \"tullanma, tullanma\" qışqırıqlarını eşitdikdən sonra anladığını bildirib. Hal şahidi Jody Martin deyib: \"Mən bir adamın düşdüyünü gördüm. Bir qadının körpəsini pəncərədən tutduğunu gördüm...qışqırıqlar eşidirdim\". \"Mən hamıya \"aşağı düşün\" deyə bağırırdım və onlar mənə \"biz mənzillərimizdən çıxa bilmirik, korridorlardakı tüstü çox pisdir\" deyirdilər.\" 8-ci mərtəbədə yoldaşı və gənc qızı ilə yaşayan Michael Paramaseevan onlara evdə qalmalarını tövsiyə edən rəsmi göstərişə əməl etməyərək binadan çıxdığını deyib. \"Əgər biz mənzildə qalsaydıq həlak olardıq. Ürəyimdə instiktlə bildim ki, qızları çıxarmalıyam. Tüstüyə görə balacanı parça ilə bürüdüm və onları oradan çıxardım.\" 5-ci mərtəbədə yaşayan Zoe adlı qadın qonşunun qapısını döyərək ona xəbəri çatdırdığını deyib. \"Bütün korridor tüstü ilə dolu idi. Yanğın siqnalizasiyası heç işləmirdi və yanğının belə tez 5-ci mərtəbədən 24-cüyə qədər qalxması çox qorxuducu idi\". Londonun meri Sadiq Khan yüksək mərtəbəli yaşayış binalarında təhlükəsizlik barədə çoxlu sualları cavablandırılmalı olacaq. \"İnsanlar üçün təhlükə yaradan pis tövsiyələrin olması və əgər iddialar doğrudursa, yaşayış binalarının düzgün şəkildə təmir və təmin edilməməsi qəbulolunmazdır\", o, BBC-ə bildirib. Yanğınsöndürmə Briqadaları Birliyinin əməkdaşı Matt Wrack binada yanğına qarşı prosedurlarda açıq-aydın bir problemin olduğunu deyib. Adətən bu cür yanğınlarda yanğınsöndürənlər yanğın çıxışı ilə qalxaraq yanğını söndürməyə cəhd edirlər. Lakin bu dəfə bu mümkün olmayıb. Kensington and Chelsea Rayonundan Nick Paget-Brown yanğın baş verən an binada \"yüzlərlə\" insanın olduğunu deyib. Təhlükəsizlik xəbərdarlıqları Yerli sakinlərin 2010-cu ildə yaratdıqları Grenfell Action Group (GAG) ilk olaraq ərazidə Kensington Akademiyası və Əyələncə Mərkəzinin tikintisinə qarşı etiraz edib. Daha sonra, 2013-cü ildən etibarən GAG yerli bələdiyyə üçün ərazidəki mənzilləri idarə edən Kensington and Chelsea Tenant Managment Organisation-ın (KCTMO/ Kensington və Chelsea İcarəçilər İdarə Təşkilatı) yanğına qarşı hazırsızlıq olduğunu iddia edib. 1996-cı il, aprel ayının 1-dən etibarən KCTMO mənzillərin idarə edilməsi məsuliyyətini Kensington and Chelsea bələdiyyəsindən öz üzərinə götürüb. GAG-ın şikayətləri və iddiaları bunlardan ibarət olub: KCTMO kommunikasiya şöbəsindən BBC Azərbaycancaya yanğın barədə hələ ki, şərh verilməyəcəyi bildirilib. Lakin daha sonra dərc edilən bəyanatında KCTMO sakinlərin keçmişdə ifadə etdiyi şikayətlər barədə məlumatlı olduqlarını etiraf ediblər. \"Biz bütün şikayətlərə ciddiliklə yanaşırıq və bunlar bizim gələcəkdə keçirəcəyimiz araşdırmalara daxil ediləcək\", bəyanatda deyilir. Hadisənin \"fəlakət\" olduğunu deyən KCTMO yerli bələdiyyə ilə birlikdə sakinlərə dəstək göstərmək üçün əlindən gələni etdiyini deyib. KCTMO-un əvvəl dərc edilən bəyanatında şirkətin baş icraçı direktoru Robert Black yanğında baş verən ölümlər və xəsarətlərin \"ürəkyandırıcı\" olduğunu və əməkdaşları ilə birlikdə hadiə yerində təcili yardım xidmətlərinə dəstək göstərdiklərini bildirib. Nə baş verib? Lancaster West Estate-də yerləşən Grenfell Towerdə yanğının başlaması barədə məlumat London vaxtilə saat 00:54-də yayılıb. Saat 04:00-da polis sakinlərin binadan təxliyəsinin davam etdiyini deyib. Təxminən 200 yanğınsöndürən hələ də hadisə yerində yanğının söndürülməsi üçün çalışır. Şəhər polisi bildirib ki, insanlar \"bir sıra zədədən\" müalicə olunub. Yaşayış binasında 120 mənzil var. BBC-nin müxbiri Simon Lederman bildirib ki, onun başa düşdüyünə görə, \"xeyli insan\" itkin düşüb. Digər şahidlər iddia edir ki, içəridə sıxışıb qalan sakinləri pəncərədə görüblər. Onun sözlərinə görə, yanan bina \"kilometrlərlə məsafədən\" görünüb və bina onuncu mərtəbədən başlayaraq \"nəzarətdən kənar yanırdı\". London Yanğınsöndürmə Briqadasının köməkçi komissarı Dan Daly bildirib ki, \"yanğınsöndürənlər çox çətinliklə və ağır şəraitdə yanğının söndürülməsi üçün çalışır\". London Təcili Tibbi Yardım Xidmətinin xüsusi təlim keçmiş xilasetmə tibbi yardım işçiləri də hadisə yerinə göndərilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52120255", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52125956", "doc1": "মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা- অগাস্ট ২০১৯ হজের সময়। হজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বান্তেন বলেছেন হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলেছেন হজের জন্য \"কাগজপত্র এখনই চূড়ান্ত করবেন না, অপেক্ষা করুন\"। জুলাই আর অগাস্ট মাসে হজের জন্য প্রায় বিশ লাখ মানুষ মক্কা এবং মদিনায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধর্মে বলা আছে, শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলিমদের জীবদ্দশায় একবার হজ পালন করা উচিত। করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে আশংকার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওমরাহ পালনের ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সৌদি কর্তৃপক্ষ মানুষজনকে মক্কা ও মদিনা এবং সেইসঙ্গে রাজধানী রিয়াদেও ঢুকতে দিচ্ছে না। দেশটিতে ইতোমধ্যেই ১,৫৬৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণ হারিয়েছে ১০জন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ষষ্ঠ ব্যক্তি মারা গেলেন স্বাদ-গন্ধহীনতা কী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ? 'চারদিন ধরে শুধু পানি খেয়ে বেঁচে আছি' দিল্লিতে তাবলীগের এই মসজিদ কেন করোনাভাইরাসের 'হটস্পট' সৌদি আরবের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে \"সৌদি আরব সবরকম পরিস্থিতির মধ্যেই হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য সব ব্যবস্থা নিয়ে পুরো প্রস্তুত রয়েছে,\" রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন মি. বান্তেন। \"কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বব্যাপী একটা মহামারি নিয়ে কথা বলছি। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি তিনি আমাদের রক্ষা করুন। সকল মুসলমান এবং আমাদের নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষা আমরা চাই।\" \"তাই বিশ্বের সব দেশে মুসলমান ভাইদের প্রতি আমাদের আহ্বান- পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত (ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে) আপনাদের হজের কাগজপত্র চূড়ান্ত করবেন না\" - বলেন মি. বান্তেন। তিনি আরও বলেছেন, ওমরাহ স্থগিত ঘোষণা করার আগেই যারা ওমরাহ করতে এসে পড়েছিলেন তারা বর্তমানে যেসব হোটেল ব্যবহার করছেন, সেগুলো হজ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। যারা ফিরতে পারেননি তারা এবং যাদের স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তারা এই হোটেলগুলোতে থাকছিলেন। মন্ত্রী আরও বলেছেন যে, যারা ওমরাহ ভিসার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন, কিন্তু ওমরাহ করতে পারেননি, আপাতত তাদের সেই অর্থ ফিরিয়ে দেয়া হবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?", "doc2": "Həcc naziri Məhəmməd Bəntən deyib ki, krallıq zəvvarların təhlükəsizliyindən narahatdır və insanları \"ziyarət müqavilələrini bağlamaqdan əvvəl gözləməyə\" çağırıb. Bu ilin iyul və avqust aylarında təxminən iki milyon insanın Məkkə və Mədinəyə həcc ziyarətinə gedəcəyi gözlənilir. İslam dininə görə, imkanı olan hər bir müsəlman ömrü boyu azı bir dəfə Həcc ziyarətinə çıxmalıdır. Ümrə deyilən kiçik ziyarət koronavirusa görə artıq qadağan edilib. Bundan başqa, Məkkə, Mədinəyə və paytaxt Ər-Riyad şəhərinə daxil olmaq qadağan edilib. Səudiyyə hökuməti Covid-19 epidemiyasının qarşısını almağa çalışdığını və artıq ölkədə azı 1563 nəfərin virusa yoluxduğunu və 10 nəfərin öldüyünü bildirib. \"Səudiyyə Ərəbistanı hər zaman Həcc və Ümrə zəvvarlarına xidmət etməyə tam hazırdır\", - cənab Bəntən dövlət televiziyasında bildirib. \"Amma indiki şəraitdə, qlobal pandemiyanı nəzərə alaraq, krallıq müsəlmanların və vətəndaşların sağlamlığını qorumağa çalışır”. \"Ona görə də biz bütün ölkələrdə müsəlman qardaşlarımızdan xahiş etdik ki, vəziyyət düzələnədək [turoperatorlarla] müqavilə bağlamaqdan əvvəl gözləsinlər\". O əlavə edib ki, Həcc və Səhiyyə nazirlikləri hazırda müqavilələrin dayandırılmasından əvvəl Ümrə ziyarətinə çıxanların yerləşdirildiyi otelləri yoxlamaqdadır. Həmin ziyarətçilərə özlərini təcrid etmək söylənilib. Onların bəziləri vətənlərinə geri dönə bilməyənlərdir. Nazir həmçinin bildirib ki, Ümrə ziyarəti üçün viza alan şəxslərin viza xərcləri geri ödəniləcək."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44673982", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/trending-44691888", "doc1": "এই বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে সোজাসাপ্টা কথা। কিন্তু মেয়েদের রেজরের বিজ্ঞাপনের এই কথাগুলো ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই বিজ্ঞাপনে আসলে মেয়েদেরকে রেজর দিয়ে তাদের শরীরের লোম শেভ করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এতে এমন বৈপ্লবিক কি আছে যে এটি নিয়ে এত তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে? এতদিন ধরে মেয়েদের রেজরের বিজ্ঞাপন যারা দেখেছেন, তারা জানেন পার্থক্য কোথায়। মেয়েদের রেজরের বিজ্ঞাপনে যারা মডেল, তাদের শরীরের ত্বক সবসময় মসৃণ, নির্লোম। এমনকি বাস্তবে যা নয়, এই মডেলদের তার চেয়েও নাকি বেশি মসৃণ, মোলায়েম আর নির্লোম হিসেবে উপস্থাপন করা হয় ছবিতে এয়ারব্রাশ করে। মেয়েদের রেজর ব্রান্ড বিলি জানিয়েছে, গত একশো বছরের মধ্যে এই প্রথম কোন রেজরের বিজ্ঞাপনে তারা যে লোমশ নারীকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজ্ঞাপনে মডেলের পা, বগল এমনকি পেটের লোম ক্লোজ আপে দেখানো হয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের অনেকেই এর ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। 'দিস ইজ ড্যাম বিউটিফুল', ইনস্টাগ্রামে মন্তব্য করেছেন একজন। \"আমি রেজর পছন্দ করি না, কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটা এত দারুণ।\" আরও পড়ুন: মডেলের ফিগার পাল্টানোর ফাঁকি আর চলবে না লন্ডনে কেন নিষিদ্ধ হলো বিকিনি পরা মডেলের বিজ্ঞাপন ‘নারীদের বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনে বাথরুমেই আটকে রাখা হচ্ছে’ বিজ্ঞাপনে লোমশ নারীকে মডেল হিসেবে ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা করে বিলি'র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জর্জিনা গুলি গ্ল্যামার ম্যাগাজিনকে বলেন, \"ব্রান্ডগুলো যখন এরকম একটা ভান করে যে মেয়েদের শরীরে যেন কোন লোম নেই, তখন তারা আসলে মেয়েদের শরীরকে নিয়ে বিদ্রুপ-সমালোচনার কাজটাকেই উৎসাহিত করছে। তারা যেন বলছে, তোমার শরীরের লোম নিয়ে তোমার লজ্জা পাওয়া উচিৎ।\" বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অনলাইনে একটি প্রচারণাও শুরু করেছে এই কোম্পানি যেখানে লোমশ নারীদের ছবি ব্যবহার করে সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখানো হয়েছে। তবে মেয়েদের শরীরের লোম নিয়ে যে এক ধরণের লজ্জা-সংকোচ, সেটা কাটিয়ে তোলার দায়িত্ব কেন একটা রেজর কোম্পানি নিচ্ছে সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। লেখক র‍্যাচেল হ্যাম্পটন যুক্তরাষ্ট্রের এক ওয়েবসাইটে লিখেছেন, \"এটা সত্য যে এই বয়সে এসে আরও অনেকের মতো আমিও মসৃন লোমহীন পা পছন্দ করি। কিন্তু যদি ১১ বছর বয়সের মধ্যেই আমার মাথায় এই ধারণা গেঁথে দেয়া না হতো যে মেয়েদের শরীরে লোম থাকা মানে খারাপ কিছু, তাহলে হয়তো আমি এই লোম কামানোর কাজটাই শুরু করতাম না! যে কোম্পানি রেজর বিক্রি করছে, তারা কি দাবি করতে পারবে যে এই পুরো ব্যাপারটার পেছনে তাদেরও দায় আছে?\"", "doc2": "Ülgüc brendi olmasına baxmayaraq Billie, bədəndəki tüklərlə bağlı stiqmanı aradan qaldırmaq istədiyini bildirir Bu sadə sözlər ABŞ və ondan kənarda geniş müzakirələrə səbəb olub. Yeni ülgüc reklamında qadınların öz bədənlərindəki tükləri təraş etdiyi nümayiş etdirilir. Bunun nəyi qəribədir ki? Lakin bir şeyi unudursunuz - adətən qadınların ülgüc reklamlarında artıq təraş edilmiş və hamar ayaqlar göstərilir. Ülgüc reklamı olan Billie bildirir ki, onlar tüklü qadınları nümayiş etdirən ilk şirkətdir və reklam artıq sosial mediada geniş yayılıb. Məzmun mövcud deyil Paylaşımın sonu Facebook, 1 \"Bu çox gözəldir\" Sosial mediada qadınlar tüklü ayaqların, qolaltının və qarının nümayiş etdirildiyi reklamı alqışlayıblar. \"BU ÇOX GÖZƏLDİR\", İnstagram istifadəçisi @bigparadethroughtown yazıb. \"Mən ülgücü sevmirəm, ancaq bu reklam adamı məst edir\", @hanguk0 razılaşıb. \"Şirkətlər qadınların bədənindəki tükü nümayiş etdirməməklə sanki insanı bədənindən utandırırlar\", Billie-nin həmtəsisçisi Georgina Gooley Glamour jurnalında bildirib. \"Onlar iddia edirlər ki, siz bədəninizdəki tükə görə utanmalısınız\". Şirkət həmçinin bədənlərində təbii tük olan qadın görüntülərini normallaşdırmaq üçün onlayn kampaniyaya başlayıb. Reklamı bəyənənlər bildiriblər ki, bu kampaniya onları bədənləri ilə bağlı pozitiv olmalarına səbəb olub Bu qədər dəstəklə yanaşı, bəziləri ülgüc şirkətinin bədəndəki tüklə bağlı tabunu qırmağa çalışmasını anlamadıqlarını bildiriblər. \"Doğrudur, mən də hamı kimi hamar ayaqlarımın olmasını istəyirəm. Lakin 11 yaşımda bədənimdəki tükün çox pis olduğunu mənə inandırmasaydılar, heç təraş etməyə də başlamazdım\", Slate saytına yazan Rachelle Hampton bildirib. Ülgüc satan bir şirkətin tüklü bədənin normal olduğunu deməsi nə qədər normaldır? Billie bu suala belə cavab verib: \"Əgər nə vaxtsa təraş olmaq istəsəniz, biz burdayıq\". Maraqlısı isə odur ki, reklamın sonunda heç də bütün qadınlar hamar bədənə malik deyillər. \"Təraş olmaq şəxsi seçim olmalıdır və heç kim qadınlara bədənləri ilə bağlı nə etməli olduqlarını deyə bilməz\", Gooley Glamour-a bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44248112", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-41911571", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের কাছে চিঠি লিখে সিঙ্গাপুর সামিট বাতিলের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি কিম জং-আনের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লিখে বৈঠক বাতিলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, যাকে 'ট্রাম্প স্টাইল কূটনীতি' হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই চিঠি থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আরো কী ধারণা করা যায়? সেই বিশ্লেষণ করেছেন উত্তর আমেরিকায় বিবিসির সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুর্চার। প্রথম অনুচ্ছেদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিতে সবচেয়ে আগে যেটা চোখে পড়বে, তা হল, ''হিজ এক্সেলেন্সি'' বলে সম্বোধন, যা কিম জং-আনের ক্ষেত্রে বিরলই বলা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি এটা অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক ধরণের চিঠির সূচনার মতো, যেখানে শুরুতে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার সময়, ধৈর্য আর উদ্যমের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। চিঠিতে প্রথমেই মি. কিমের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, দুই পক্ষের অনেকদিনের আগ্রহ আর আলোচনার পর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে বলা হয়, তারা (মার্কিন সরকার) জানতে পেরেছেন যে, উত্তর কোরিয়ার অনুরোধেই বৈঠকটির আয়োজন হয়েছে, যদিও তাদের কাছে (হোয়াইট হাউজ) তা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক। (গত মার্চে প্রথম এই পরিকল্পনাটি আসে, যদিও মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়।) এরপরে তিনি বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সাম্প্রতিক ক্ষোভ ও প্রকাশ্যে বিরূপতা প্রদর্শনের কারণে এখন এ ধরণের বৈঠক করা ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। তবে এই চিঠির আসল বক্তব্য এসেছে শেষের দিকে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কলম থেকে আসলে বিষ বের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা পারমানবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের টানেলটি ধসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা আবার পারমানবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছে আর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য (একজন রাজনৈতিক পুতুল) করেছে। মি. ট্রাম্প এর আগে অনেকবারই প্রমাণ দিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়ার কোন কটূ কথার তিনি ছাড় দেবেন না। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে বর্ণনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের পারমানবিক হুমকি-ধামকির তিনি জবাব দিয়েছেন তার নিজস্ব ধরণের কথার আরেক দফা গরম ফুলকি ছড়িয়ে। যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর শক্তিশালী পারমানবিক অস্ত্রের কথা তুলে লিখেছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যেন, সেগুলো কখনো ব্যবহার করতে না হয়। ব্যাপারটা যেন গত গ্রীষ্মে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর সেই মুহূর্তের মতো, যখন আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সামরিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। এই চিঠির শুরুটা হয়তো কূটনৈতিকভাবে শুরু হয়েছে, কিন্তু তারপরেই মি. ট্রাম্পের ভাষা বেরিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ চিঠির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে কূটনৈতিক ভাষা আবার ফিরে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দুই জাতির মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, কোন একদিন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে আগ্রহী। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে তিনি বর্ণনা করেছেন, যাদের একজনকে শ্রম শিবিরে পাঠানোর শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তবে অনেক সমালোচক প্রশ্ন তুলতে পারে, এ ধরণের প্রশংসা করার জন্যে এই চিঠি উপযুক্ত জায়গা কিনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, বৈঠক বাতিল হওয়ায় সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো। তৃতীয় অনুচ্ছেদ শেষ অনুচ্ছেদে আবার ব্যবসায়িক ভাষার ধরণ চলে এসেছে, যেখানে মি. ট্রাম্প লিখেছেন, ''আপনি যদি এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি করার ব্যাপারে মনোভাব পাল্টে থাকেন, আমাকে ফোন করতে বা চিঠি লিখতে ইতস্তত করবেন না।'' চিঠিটা শেষ হয়েছে একটি হতাশার কথা জানিয়ে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ''সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো।'' এই বৈঠকের বিষয়ে সময় আর স্থানের কথা জানিয়ে নিজের টুইটে মি. ট্রাম্প লিখেছিলেন, এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বিশ্ব শান্তির জন্য খুবই বিশেষ একটি মুহূর্ত। তার সমর্থকরা বলেছেন, তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া উচিত। মি. ট্রাম্পও সেটি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, ''অনেকেই সেটা মনে করে।'' আরো বলেছিলেন, ''আমি যে পুরস্কার চাই, তা হল, বিশ্বের জন্য একটি বিজয়''। তবে তার বদলে এখন তাকে লিখতে হচ্ছে, বৈঠক বাতিল হওয়ায় ''ইতিহাসের জন্য একটি দুঃখজনক অধ্যায়।''", "doc2": "Trump: \"\"Bizi zəif qiymətləndirmə. Bizi sınama\" Şimaldakı həyatın \"qaranlıq fantaziyasını\" qınayarkən o deyib: \"Bizi zəif qiymətləndirmə. Bizi sınama\". O öz nitqində cənab Kim-ə müraciət edərək deyib ki, \"əldə etdiyiniz sialahlar sizin təhlükəsizliyinizi təmin etmir, onlar sizin rejimi böyük təhlükəyə atır\". Birləşmiş Ştatlar lideri Asiya səfəri çərçivəsində iki günlük Cənubi Koreyadadır. Cənab Trump Seulda millətvəkilləri qarşısındakı çıxışına Koreya müharibəsindən bu yana Cənubi Koreyanın Şimaldan fərqli olaraq əldə etdiyi naliyyətləri qiymətləndirməklə başlayıb. O bunu \"tarix laboratoriyasındakı faciəli təcrübəyə\" bənzədib. O Pxenyanı xəbərdar edib ki, ABŞ-ın keçmişdəki təmkinliliyini zəiflik kimi qiymətləndirməsin, indi fərqli ABŞ rəhbərliyi var və cənab Kim-i ölkəsinin nüvə silahından əl çəkməsinə çağırıb. Cənab Trump digər ölkələri, xüsusilə, Çin və Rusiyanı - Pxenyana nüvə silahlarından imtina etmək üçün təzyiq göstərməyə çağırıb. Çərşənbə günü pis hava şəraiti səbəbiylə Donald Trump Şimali və Cənubi Koreya arasındakı hərbisizləşdirlimiş zonaya olan qəfl səfərini təxirə salmaq məcburiyyətində qalıb. ABŞ rəsmilərinin dediyinə görə, cənab Trump-ın helikopteri Birləşmiş Ştatlar ordusunun Seuldakı Yongsan qarnizonundan havaya qalxıb və sonradan geri dönüb. Şimali Koreyanın nüvə iddiaları cənab Trump-ın beş Asiya ölkəsinə başladığı səfəri boyu diqqət etdiyi əsas məsələdir. Donald Trump öz səfərinə Yaponiyadan başlayıb, sonra Cənubi Koreyaya gəlib. ABŞ prezidenti çərşənbə günü Çinə uçacaq, bu həftə Vyetnam və Fillipinə də səfər edəcək."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48730211", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38915903", "doc1": "ই জীন ক্যারল, ২০১৫ সালে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে ই. জিন ক্যারল নামে সেই মহিলার কাহিনি প্রকাশিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা সম্পূর্ণ 'কাল্পনিক' - এবং সেই মহিলাকে তিনি কখনো দেখেননি। তিনি অভিযোগ করেন, মহিলাটি তার নতুন বই বিক্রি করার জন্যই এ অভিযোগ ফেঁদেছেন। তবে মিজ ক্যারল বলছেন, তার ওপর মি. ট্রাম্পের আক্রমণের ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন তিনি ব্যাপারটা রিপোর্ট করেন নি, কারণ তার এক বন্ধু বলেছিলেন, ব্যাপারটা আদালতে নিয়ে গেলেও তার মামলা জেতার কোন সম্ভাবনা নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে ১২ জনেরও বেশি মহিলা যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন - তবে তিনি তা অস্বীকার করেন। ই. জীন ক্যারল ধর্ষণের অভিযোগে কী বলছেন? প্রকাশিত নিবন্ধে মিজ ক্যারল তার জীবনে অত্যন্ত খারাপ কিছু লোকের হাতে আক্রান্ত হবার ছয়টি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলছেন, ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে বা ৯৬-এর প্রথম দিকে বার্গডর্ফ গুডম্যান নামে নিউইয়র্কের এক অভিজাত পোশাকের দোকানে তার সাথে মি. ট্রাম্পের দেখা হয়। নিউ ইয়র্কের এই পোশাকের দোকানটিতেই ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ মিজ ক্যারল চিনতে পেরেছিলেন যে ইনিই সেই রিয়েল এস্টেট টাইকুন বা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তাকে বলেছিলেন, একটি মেয়ের জন্য উপহার কিনতেই তার এ দোকানে আসা, এবং মিজ ক্যারলের টিভি অনুষ্ঠানের সুবাদে তিনিও তাকে চেনেন। মিজ ক্যারল বলেন, এর পর তারা কথাবার্তা বলেন, এবং মেযেদের অন্তর্বাস পরা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেন। এর পর তারা দু'জনে একটা ড্রেসিং রুমে যান এবং সেখানেই মি. ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মি ট্রাম্প এবং মিজ ক্যারল উভয়েরই বয়স তখন ৫০ এর কাছাকাছি। তখন ট্রাম্পের স্ত্রী ছিলেন মার্লা মেপলস। মিজ ক্যারল নিবন্ধের শেষে লিখেছেন, মি ট্রাম্পই হচ্ছেন তার জীবনের শেষ খারাপ লোক, এবং ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কখনো যৌনমিলন করেন নি। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী? মিজ ক্যারল লিখেছেন, তিনি এ ঘটনার কথা দু'জন বন্ধুকে বলেছিলেন। তাদের একজন তাকে পুলিশে খবর দেবার পরামর্শ দেন। কিন্তু অন্য বন্ধুটি বলেন, কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। \"তার অন্তত ২০০ আইনজীবী আছে, ওরা তোমাকে কবর দিয়ে দেবে।\" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন বার্গডর্ফ গুডম্যান নিউইয়র্কের একটি অভিজাত পোশাকের দোকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই ব্যক্তির সাথে তার কখনো দেখা হয় নি। । \"মহিলাটি একটি নতুন বই বিক্রি করার চেষ্টা করছেন এবং এতেই তার উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এটা কল্পকাহিনি হিসেবেই বিক্রি হওয়া উচিত\" - বলেন তিনি। মি. ট্রাম্প বলেন, এ ঘটনার কোন প্রমাণ নেই। মিজ ক্যারল বা নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের সাথে ডেমোক্রেটিক পার্টি কাজ করছে - এরকম প্রমাণ যদি কারো হাতে থাকে, তাহলে হোয়াইট হাউসে খবর দেবারও আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি ট্রাম্প বলেন, বার্গডর্ফ ডিপার্টমেন্ট স্টোর নিশ্চিত করেছে যে ওই ঘটনার কোন ভিডিও ফুটেজ নেই, এবং সে জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ দেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারো যৌন হয়রানির অভিযোগ পর্ন তারকার মুখ বন্ধে টাকা খরচের কথা স্বীকার ট্রাম্পের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা", "doc2": "Cənab Trump yazıb ki, Nordstrom geyim dükanı \"İvanka ilə ədalətsiz rəftar edib\". Demokrat senator bu paylaşımı \"uyğunsuz\" və Ağ Evin sabiq etika mütəxəssisi isə \"təhqiredici\" adlandırıb. Ayın əvvəlində Nordstrom az satış səbəbindən İvanka Trump-ın geyim kolleksiyasını satmaqdan boyun qaçıran beşinci şirkət olub. Bu, Trump məhsullarına qarşı başlamış etiraz aksiyasından sonra baş verir. #GrabYourWallet həşteqi ilə başlanan aksiya cənab Trump-ın qadın bədəni haqqında 2005-ci ildə dediyi şərhlərə etiraz olaraq keçirilir. Pennsylvania senatoru Bob Casey-ın sözçüsü deyib ki, senator \"prezidentin onun ailəsini qazandırmaq istəməyən özəl şirkətə belə hücumunu qeyri-etik və uyğunsuz hesab edir\". Prezident Barack Obama zamanında etika mütəxəssisi çalışmış Norm Eisen onun hərəkətini \"təhqiredici\" adlandırıb və Nordstrom-a cənab Trump-ı Kaliforniya Ədalətsiz Rəqabət Qanununa əsasən məhkəməyə verməyi məsləhət görüb. Cənab Trump prezident olduqdan sonra başqa şəxsi biznesə də Twitter-də hücum edib Ağ Ev-in sözçüsü Sean Spicer bildirib ki, Nordstrom-un qərarı siyasidir və prezident sadəcə onun qızına \"hücuma\" cavab verib. Nordstrom isə bildirib ki, qərar brendin satışları ilə əlaqəli olub. \"Mənim qızım İvanka @Nordstrom tərəfindən ədalətsiz rəftara məruz qalıb. O əla insandır- hər zaman məni düz şeylər etməyə sövq edir! Dəhşət!\" - cənab Trump paylaşıb Cənab Trump tvitini ilk olaraq @realDonaldTrump hesabından paylaşıb, sonra isə tvit rəsmi prezident hesabından (@POTUS) paylaşılıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41416024", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41410767", "doc1": "সৌদি নারীদের যাতায়াতের জন্য আট লাখের মত ড্রাইভার রয়েছে। সৌদি মহিলা এমপি লাতিফা আলশালান বলেছেন, \"সৌদি নারী সমাজের জন্য এটা বিশাল এক বিজয়। তারা দশকের পর দশক ধরে এই অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে।\" মানাল আল শরিফ নামে যে সৌদি নারী আইন ভেঙ্গে গাড়ী চালানোর জন্য কারাগারে গিয়েছিলেন, তিনি টুইট করেছেন, \"সৌদি আরব চিরদিনের জন্য বদলে গেছে।\" বাদশাহ সালমানকে অভিনন্দন জানিয়েছে এমনকী যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সাথে সাথেই প্রশ্ন উঠেছে, মহিলাদের যাতায়াতের জন্য যে লাখ লাখ অভিবাসী ড্রাইভারের সৌদি আরবে চাকরি হয়েছে এবং হচেছ, তাদের কী হবে? এক হিসাবে, শুধু সৌদি নারীদের যাতায়াতের প্রয়োজনে সেদেশে ৮০০,০০০ ড্রাইভার কাজ করে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশি। সঠিক হিসাবে পাওয়া না গেলেও, ঢাকায় শীর্ষ একজন জনসম্পদ রপ্তানিকারক আলী হায়দার চৌধুরী বিবিসিকে বলছেন, গৃহকর্মে কাজের জন্য নতুন করে লোক নিয়োগের ভিসা দেওয়া শুরুর পর গত দেড় বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৫০,০০০ লোক ড্রাইভারের চাকরি নিয়ে সৌদি আরব গেছেন। জেদ্দায় রেন্ট- এ-কার ব্যবসার সাথে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন বাহার বকুল। তিনি বিবিসিকে বলেন, প্রচুর বাংলাদেশীকে তিনি চেনেন যারা বিভিন্ন সৌদি পরিবারে গাড়ী চালকের কাজ করেন। \"অনেক বাড়িই কয়েকজন ড্রাইভার কাজ করে। মনে করেন, তিনটি বাচ্চা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে যায়, তাদের তিনজনের জন্যই হয়তো তিনজন ড্রাইভার। অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার।\" নারীরা গাড়ি চালানো শুরু করলে তাদের চাকির কি হুমকিতে পড়তে পারে ? বাহার বকুল বললেন, এখনই চট করে বলা মুশকিল। \"একজন ড্রাইভারের বেতন কম করে ১৫০০ রিয়াল। মহিলারা গাড়ি চালাতে পারলে হয়তো অনেক পরিবার পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে।\" মি বকুল বলেন, সৌদি আরবে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কাজে মহিলাদের দেখা যাচ্ছে যেটা আগে দেখাই যেতনা। \"সুপার মার্কেটগুলোতেও এখন মেয়েরা কাজ করছে। গাড়ি চালাতেও দেখবো হয়তো কিছুদিন পর।\" অনেক সৌদি বাসাবাড়িতে তিন-চারজন করে ড্রাইভারও কাজ করে জনসম্পদ রপ্তানিকারক আলী হায়দার চৌধুরী, যিনি ২২ বছর সৌদি আরবে ছিলেন, তিনি মনে করছেন গাড়ী চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেরেও অদূর ভবিষ্যতে খুব কম সৌদি মহিলাই হয়তো গাড়ি চালাবেন। \"আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সৌদি সমাজ এতটাই রক্ষণশীল যে তাদের কতজন গাড়ি চালাবেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পশ্চিমা দেশে গিয়ে পড়াশোনা করে আসা কিছু হয়তো গাড়ি চালাবেন, কিন্তু সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়।\" উদাহরণ হিসাবে মি চৌধুরী কাতার এবং কুয়েতের কথা উল্লেখ করেন। \"কুয়েত, কাতারেও মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারে। কিন্তু তারপরও ঐ দুই দেশে অনেকেই বাসাবাড়িতে ড্রাইভারের কাজ নিয়ে যাচ্ছে।\" মি চৌধুরীর মতে, কত সৌদি নারী ড্রাইভারের পয়সা বাঁচাতে গাড়ি চালাবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে সৌদি অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির ওপর।", "doc2": "Nazirliklər 30 gün ərzində hesabat hazırlayacaq və qərar 2018-ci ilin iyun ayına qədər həyata keçiriləcək. Səudiyyə Ərəbistanı qadınların sürücülük etməsini qadağan edən yeganə ölkədir. Mövcud sistemə görə, yalnız kişilərə sürücülük lisenziyası verilir və əgər qadınlar sürərsə, ictimai təhlükə adı altında ya həbs oluna, ya da cərimələnə bilərlər. Bu səbəbdən bir çox ailə qadınların daşınması üçün xüsusi sürücülərdən istifadə etmək məcburiyyətində qalır. Krallıqdakı hüquq müdafiəçiləri, bir neçə ildir ki, qadınların sürücülük etməsinə icazə verilməsi üçün kampaniya aparırdı və onlardan bəziləri bu qaydanı pozduğu üçün həbs olunub. \"Kral fərmanı yol hərəkəti qaydalarını, o cümlədən kişilər və qadınlar üçün sürücülük lisenziyalarının verilməsini də tətbiq edəcək\", Səudiyyə mətbuat agentliyi (SPA) bildirib. Qərara nə reaksiya olub? ABŞ dövlət departamenti qərarı müsbət qarşılayaraq \"doğru istiqamətdə əla bir addım\" adlandırıb. BMT-nin Baş katibi Antonio Guterres də bənzər bir ifadə ilə qərara Twitter-də öz reaksiyasını verdib. Women2drive kampaniyasının təşkilatçısı və qanunsuz olduğu zaman maşın sürdüyü üçün həbs edilən Manal əl-Şərif isə Twitter-də Səudiyyə Ərəbistanı \"daha əvvəlki kimi olmayacaq\" deyib. Lakin hər kəs qərarı müsbət reaksiya ilə qarşılamayıb. Mühafizəkar dairələr hökuməti \"şəriətin sözlərini əyməkdə\" təqsirləndiriblər. Qərardan sonra sosial şəbəkələrdə \"Mən özümün mühafizəçisiyəm\" və \"səudiyyəli qadınlar sürə bilər\" həştəqləri populyarlaşıb. Amma eyni zamanda \"mənim evimin qadınları sürməyəcək\" həştəqinin istifadəsidə də kəskin şəkildə artıb. Səudiyyə qadınları bu yaxınlarda ilk dəfə olaraq bayram etmək üçün King Fahd Stadionuna buraxılıb Təhlil: Səudiyyə cəmiyyəti üçün kütləvi dəyişiklik Frank Gardner, BBC təhlükəsizlik müxbiri Bu fərman Səudiyyə Ərəbistanı üçün önəmlidir. Çox yaxşı təhsil almış və iddialı olan Səudiyyə qadınları onilliklərdir ki, öz ölkələrinin iqtisadiyyatına tam şəkildə qoşulmaq şanslarını gözləyirdilər. Onların ailələri cənub və cənub-şərq Asiya ölkələrindən gətirilən sürücüləri işə götürmək, onları evlə təmin etmək, dolandırmaq və sığortalamaq kimi işlər üçün büdcələrini sıxırdılar. Hazırda təxminən 800 min xarici Səudiyyə qadınlarınına sürücülük edir. Vəziyyətin bu qədər uzun müddətdə eyni qalmasına səbəb \"onlar sürmək üçün çox axmaqdır\" və ya \"bu cinslərə qarşı dözülməz birləşməyə gətirib çıxaracaq\" kimi fikirlər söyləyən dindar mühafizəkarlar olub. Buna baxmayaraq, bu fərman Səudiyyə Ərəbistanı Krallığının şahzadəsi Mohammed bin Salman tərəfindən irəli sürülən \"Vision 2030\" adlı proqrama uyğun olaraq, Səudiyyə cəmiyyətini modernləşdirmək və dünya ilə daha çox bir araya gətirmək məqsədi daşıyır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50355028", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50375062", "doc1": "কার্যক্রম বাড়াচ্ছে উবার কিন্তু কোম্পানির সর্বশেষ রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে যে তাদের অপেক্ষা আসলে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। উবার তার কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে, আনছে বৈচিত্র্য। চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজস্ব বেড়েছে বছরের শুরুর প্রথম তিন মাসের তুলনায় যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। তারপরেও উবারের নিট লোকসান ১.২ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় বেশি। বিনিয়োগকারীরা এসব বিষয় কিভাবে দেখছে? প্রযুক্তি সবার জন্য সহজলভ্য রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বাজারে আছে প্রায় দশ বছর ধরে এবং উবারের হোম ডেলিভারি সার্ভিস এর গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়েছে। কোম্পানির যে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সাথে সেবাদাতার সরাসরি সংযোগ ঘটায়, সেটি ছিল এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সুবিধা, বলছেন অ্যাডাম লেসিনস্কি। তিনি ' ওয়াইল্ড রাইড: ইনসাইড উবার'স কোয়েস্ট ফর ওয়ার্ল্ড ডমিনেশন' গ্রন্থের লেখক। বিবিসিকে তিনি বলেন, \"সময়ের সাথে প্রযুক্তিও সবার কাছে সহজলভ্য হয়েছে এবং এর মধ্যে আছে ট্যাক্সি কোম্পানি। ফলে উবারের সুবিধা কমেছে\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: প্রযুক্তি ব্যবহারে শিষ্টাচার জানার প্রয়োজন আছে কি বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের নিষ্পত্তি শনিবার বিরল 'বরফের ডিমে' ছেয়ে গেছে ফিনল্যান্ডের সৈকত সেক্স ভিডিওর 'মোটা মেয়েটি' যখন আইন তৈরির অনুপ্রেরণা যাত্রীদের সাথে চালকের যোগসূত্র তৈরি করে বিপ্লব ঘটিয়েছে উবার তার মতে উবারের শক্তি হলো সেবাগ্রহীতার কাছ পৌঁছানো ও সহজ ব্যবহার সুবিধা। কিন্তু এখানে একটি দুর্বলতাও আছে। আর সেটি হলো যে পদ্ধতি বা ফর্মুলা তারা ব্যবহার করছে। অ্যাডাম লেসিনস্কি বলছেন এসব কোম্পানির স্থিতির স্বার্থে এ ফর্মুলা বন্ধ করা উচিত। যদিও সেটি কোম্পানিগুলোর জন্য নেতিবাচক হতে পারে। \"তারা যদি লাভ করতে পারে তাহলে তারা কার্যক্রম বিস্তৃত করার খরচের কাছাকাছি আসতে পারে। তারা এখন খরচ কমাতে চাইছে কিন্তু ব্যবসাটার উন্নয়ন সত্যিই কঠিন\"। \"দীর্ঘমেয়াদে তারা বিস্মিত হবে আমি এমনটাই দেখছি\"। ইউনিয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ আসছে শ্রম অসন্তোষ বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে উবারকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। বিশেষ করে চালকদের বেতন দেয়ার ইস্যুতে। এখন তারা যদি শ্রমখাতে ব্যয়কে যোগ করে তাহলে তাদের লাভ করার সুযোগ আরও কমে আসবে। অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পিটার মরিচি বলছেন, এসব বিষয় উবারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশি সুযোগ করে দিয়েছে। \"চালক ও ভোক্তাদের মধ্যে সবসময় একটা বিষয় কাজ করে যে, বাড়তি সুবিধা নিয়ে কে অফার দিচ্ছে। এটিই মার্কেট শেয়ারে প্রভাব ফেলে\"। তিনি মনে করেন দীর্ঘমেয়াদি এই মার্কেট থেকে অর্থ আয় করা কঠিন। উবার এখন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছে ইউরোপেও। উবারের আরেকটি মাথাব্যথার বিষয় হলো উবার ইটস'সহ এর লোকসানি উদ্যোগগুলো। ফুড ডেলিভারি সার্ভিস থেকে রাজস্বের ১৭ ভাগ পায় উবার যা তৃতীয় কোয়ার্টারে ৬৪ভাগ বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় কমেছে। লাভ ছাড়া চলা নিয়ে বিস্মিত বিশ্লেষকরাও আমাজন মডেল প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানি হিসেবে লাভের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, বলছিলেন উবারের প্রধান নির্বাহী। \"আমরা জানি লাভের প্রত্যাশা ছিলো এবং আমরা সেটি ২০২১ সাল নাগাদ আনবো আশা করি\"। কিন্তু তার এ বক্তব্যে অনেকেই ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন, কারণ উবারের মতো অন্য কোম্পানিগুলোও ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে। এসব ক্ষেত্রে আমাজন বড় একটি উদাহরণ। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাজন ২০০১ সালে এসেও লাভ করতে পারেনি। তবে এর লোকসানের কারণ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ। কিন্তু উবারের ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হলো, উবার কি বিশ্বস্ত গ্রাহক তৈরি করতে পেরেছে? আর এ মডেলটি কি লাভ করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী ? মরিচি ও লেসিনস্কি দুজনেই বলছেন, এ ধরণের আরও কোম্পানি সামনে আসবে এবং তারা সবাই একই ধরণের সেবা অফার করবে। \"আমি জানিনা কখন ও কিভাবে এটি হবে। তবে আমি নিশ্চিত এটিই ভবিষ্যৎ\"। আরো খবর: চীনে আত্মহত্যা ঠেকাতে দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি খুলনা পেরিয়ে সাতক্ষীরায় আঘাত হেনেছে 'বুলবুল' কেন মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট? বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক: ফিরে দেখা ইতিহাস", "doc2": "Uber öz müştəri bazasını genişləndirir və fəaliyyətini şaxələndirməkdədir 2019-cu ilin üçüncü rübündə şirkətin gəlirləri əvvəlki illə müqayisədə 30 faiz artaraq 3,8 milyard dollara çatıb, bu, təhlilçilərin gözləntilərini üstələyən nəticədir. Uber 1,2 milyard dollar həcmində xalis itki təqdim etdi, bu, bir il əvvəlki 986 milyon dollar dəyərində olan rəqəmdən daha böyükdür. Lakin bu itki əvvəlki rübdə qeydə alınan 5,2 milyard dollar dəyərində olan itkidən azdır. İnvestorlar bu nəticələri necə qiymətləndirirlər? Hamı üçün əlçatan texnologiya Nəqliyyat xidməti üzrə proqram tətbiqi on ildir ki, bazardadır və evə çatdırma xidmətləri onun müştəri bazasını genişləndirib. İstifadəçiləri bilavasitə xidmət təminatçılarına bağlayan texnologiya vaxtilə şirkətə böyük üstünlük verirdi, \"Nəzarətsiz səyahətə: Uberin dünya hökmranlığı axtarışına daxildən baxış\"(\"Wild Ride: Inside Uber's Quest for World Domination\") kitabın müəllifi Adam Leshinsky deyir. Lakin belə üstünlük artıq mövcud deyil. \"Vaxt keçdikcə bu texnologiya - Uber-in üstünlüyünü zəiflədən taksi şirkətləri də daxil - demək olar ki, hamı üçün əlçatana çevrildi\", - BBC-yə danışan Adam Leshinsky deyir. Uber inqilabı sərnişinləri birbaşa taksi sürücüləri ilə bağlayaraq xərcləri azaltdı. Hazırda Uber-in gücü, bəlkə də, onun \"miqyası və istifadəsinin asan olmasındadır\". Lakin burada bir zəif cəhət də var: Uber və onun Lyft kimi rəqiblərinin böyüməsinə zəmin yaradan formula, ucuz tariflərin subsidiyalarla təmin olunmasına əsaslanır. Adam Leshinsky hesab edir ki, bu qəbildən olan şirkətlərin davamlı fəaliyyəti üçün belə iş qaydalarına son qoyulmalıdır. Lakin bu, qiymət artımına və ola bilsin ki, müştəri bazasına da mənfi təsir göstərə bilər. \"Onların mənfəət əldə etməsi, genişlənmə hesabına baş verə bilər. Onlar artıq xərclərin ixtisarına çalışırlar, amma nə qədər çox iş görsələr, biznesin inkişafı da bir o qədər çətinləşə bilər\", - Leshinsky deyir. \"Onların hələ uzun müddət ərzində buna görə baş sındırmalarını görə bilərəm.\" Əmək mübahisələri Uber əmək hüquqları və zəmanətlərlə bağlı həmkarlar ittifaqı və nəzarət qurumları tərəfindən sorğu-suala tutulur. Uber, ödənişlər və daha önəmli məsələ olan, sürücülərin işçi hüquqlarına sahib olub-olmamaları ilə bağlı dünya boyunca tənzimləyicilər tərəfindən sorğu-sualla üzləşir. Şirkət əmək məsrəflərini artırarsa, bu onun gəlir əldə etmək məkanını da daraltmış olacaq. İqtisadiyyat və beynəlxalq biznes üzrə Maryland Universitetinin eksperti hesab edir ki, bu, Uber-in rəqibləri üçün geniş fürsətlər yaradır. \"Həmişə elə birisi tapılacaq ki, həm sürücü, həm də istehlakçılar üçün daha əlverişli təklif irəli sürsün, bu da ümumi bazar payına öz təsirini göstərəcək\", - professor Peter Morici BBC-yə deyib. \"Düşünürəm ki, bu sahə hələ uzun müddət ərzində pul qazanmaq üçün çətin yer olaraq qalacaq.\" Uberin Avropada rəqiblərindən biri də eyni xidməti paylaşan sərnişinləri hədəfləyən Via şirkətidir. Nəqliyyat əməliyyatları bir kənara qoyulsa, Uber-in baş ağrısının daha bir mənbəyi, onun itki ilə işləyən dörd bölməsidir. Onlardan biri, şirkət daxilində ikinci ən böyük bölmə olan Uber Eats-dir. Şirkətin gəlirinin 17 faizi qida çatdırma xidmətinin payına düşür və üçüncü rübdə onun həcmi 64 faiz artıb. Hərçənd ki, ötən ilə nisbətən itkilərin həcmi 67 faizədək çoxalıb. Amazon modeli Uber-in gəlir olmadan işini nə qədər davam etdirə biləcəyi sual edilir. Üçüncü rübdə şirkətin göstəricilərini açıqlayan Uber-in baş direktoru gəlir almaqda çətinlik çəkən texnologiya şirkətinin nümayəndəsi üçün, bəlkə də bir qədər, nikbin səslənirdi. \"Mənfəətlə bağlı gözləntilərin olduğunu bilirik və gözləyirik ki, 2021-ci ilədək onlar yerinə yetiriləcək\", - Dara Xosrovşahi deyib. Bu, bəzilərində təəccüb doğura biləcək bir vəddir, lakin gələcək rəqabət qabiliyyətinə nail olmaq naminə iri investisiyalar yatıran başqa şirkətlər də olub. Ən parlaq misal kimi Amazon göstərilə bilər. Bu şirkət 1994-cü ildə qurulsa da, 2001-ci ilə qədər gəlir əldə etməmişdi. Onun itkiləri əsasən, tədarük-təchizat anbarları və biznesin təməlini təşkil edən infrastruktur yatırımları ilə əlaqədar olub. Ancaq Uber-ə gəlincə, ekspertlər, məsrəflərin sadiq müştəri və gəlir üçün dayanıqlı model yaratdığını sual altına alır. Həm Morici, həm də Leshinsky-nin proqnozuna görə, gələcəkdə nəqliyyat bazarına daha çox şirkət girəcək və onların hamısı eyni məhsulu təklif edəcək. \"Bunun nə vaxt və ya hansı şəkildə baş verəcəyini bilmirəm, amma gələcəyin belə olacağına əminəm\", - Leshinsky deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49081636", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49083787", "doc1": "জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে একটি ব্রিটিশ সংস্থা। হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী আন্তর্জাতিক জাহাজের যাতায়াতের নিরাপত্তার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় এবারের গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়তি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মোটরযান নিয়ে কাজ করা একটি ব্রিটিশ সংস্থা 'এএ'। যুক্তরাজ্য ইরানকে এর মধ্যে সতর্ক করেছে যে আটক করা ব্রিটিশ জাহাজ স্টেনা ইমপেরো যদি ফেরত দেয়া না হয় তাহলে 'কঠোর ' কূটনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে ইরানকে। তেলের যোগান বাধাগ্রস্থ হলে গ্রাহক পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী পেট্রোলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' ইরান কেন ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে? 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের জিব্রাল্টারে ইরানি তেলের ট্যাংকার আটকের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পতাকাধারী একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে ইরান ইরান পরিস্থিতি কীভাবে তেলের দাম প্রভাবিত করতে পারে? জিব্রাল্টারে ব্রিটিশ সৈন্যদের দ্বারা ইরানের একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলের ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরো আটক করে। এর আগে বেশ কয়েকমাস যাবত ইরান আর যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আগ্রাসী ব্যবহারের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলে আসছিল। ঐ সময়ে হরমুজ প্রণালীতে ৬টি তেলের ট্যাংকারে আটকের ঘটনায় ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে ঐ অঞ্চলে মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। হরমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয়। এখন এমনও আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান হয়তো তাদের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত হরমুজ প্রণালীই বন্ধ করে দেবে। হরমুজ প্রণালী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল, যার মাধ্যমে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। যদি তাই হয়, তাহলে পৃথিবীর মোট তেলের মজুদের এক পঞ্চমাংশ এবং মোট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের এক চতুর্থাংশের সাথে বিশ্বের সংযোগ ছিন্ন হয়ে যাবে। অধিকাংশই মনে করেন, এই সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। তবে ইরান যদি আসলেই প্রণালী বন্ধ করে দেয় (যেই হুমকি তারা এখনও দেয়নি), তাহলে তেলের দাম অনেকটা বৃদ্ধি পাবে - এরকম মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের চেম্বার অব শিপিংয়ের প্রধান ডেভিড বালস্টন। যুক্তরাজ্যের মোট তেলের ৫% এবং ১৩% প্রাকৃতিক গ্যাস হরমুজ প্রণালী হয়ে আসে জানিয়ে মি. বালস্টন বলেন, \"হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে যুক্তরাজ্যে তেল ও গ্যাসের দাম যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।\" আরো পড়তে পারেন: বরগুনা হত্যাকাণ্ড: মাদক, রাজনীতি আর ক্ষমতার চক্র ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন না রোনালদো প্রিয়া সাহাকে বরখাস্ত করলো ঐক্য পরিষদ ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ না করলে তেলের দাম খুব বেশি বৃদ্ধি পাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে তেলের দামের কী অবস্থা? গত কয়েক সপ্তাহে পারস্য উপসাগরে অস্থিরতার কারণে তেলের দাম সারা বিশ্বেই কিছুটা ওঠানামা করেছে, তবে তেরের দরের এই ওঠানামা খুব একটা বেশি পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আলফা এনার্জি গ্রুপ কনসাল্টেন্সি নামের একটি পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জন হল। মি. হল মনে করেন তেলের বাজারের দামে খুব বেশি পরিবর্তন না আসার একটি কারণ ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি, যেগুলো শেষ পর্যন্ত শুধু হুমকিই থেকে যায়। তবে পারস্য উপসাগরে অস্থিরতা বাড়লেও এবছর তেলের দামে খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন মি. হল। যুক্তরাষ্ট্রে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হওয়ায় তাদের তেলের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়া - এরকম কয়েকটি কারণে এবছর বৈশ্বিক বাজারে তেলের মজুদ বেশি থাকবে, যার ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।", "doc2": "Benzinin qiyməti son 5 ilin maksimumuna çatıb, AA bildirir. Britaniya Avtomobilçilər Assosiasiyası xəbərdarlıq edir ki, Hörmüz boğazında beynəlxalq neft daşımaları ilə məşğul olan gəmilərin təhlükəsizliyinə dair uzunmüddətli qeyri-müəyyənlik yanacaq qiymətlərini yay ərzində hazırkı yüksək səviyyədə saxlaya bilər. Böyük Britaniya bildirib ki, İran Stena Impero tankerini buraxmasa, bunun \"ciddi\" diplomatik nəticələri olacaq. Bu, qarşıda təchizatın aramsızlığının pozula biləcəyini deməyə əsas verir. Benzin neftdən emal olunur və xammalın təchizatını poza biləcək amillər benzinin bahalaşmasına səbəb ola bilər. İranla bağlı vəziyyət neftin qiymətinə necə təsir edir? Belə görünür ki, Stena İmpero-nun saxlanılması Cəbəllütariq sahilində İran tankerinin Britaniya tərəfindən saxlanılmasına görə qisas addımı idi. Bundan əvvəl, aylarla davam edən gərginlik şəraitində İran və ABŞ bir-birlərini aqressiv davranışda ittiham ediblər. Həmin ərəfədə Tehran Hörmüz boğazında 6 tankerə hücumda ittiham olunurdu. Bu, bölgədə ABŞ və Britaniya hərbi dəniz qüvvələrinin daha geniş təmsil olunması ilə nəticələndi. Hazırda ehtiyat edilir ki, İran öz cənub sahilləri yaxınlığında yerləşən strateji əhəmiyyətli nəqliyyat dəhlizi - Hörmüz boğazını bloklamağa cəhd edə bilər. Bu, nəticə etibarilə neftlə zəngin Fars körfəzinə girişi bağlamaq deməkdir. Bu baş verərsə, qlobal neft bazarı təchizatın beşdə birini itirəcək. Təbii qaz bazarı isə təklifin 25 faizindən məhrum oluna bilər. Lakin bir çoxları hesab edir ki, məsələ öz diplomatik həllini tapacaq. Cəbəllütariqdə İran tankerinin saxlanılmasından sonra İran Britaniya bayrağı altında üzən gəmini saxlayıb. İran Hörmüz boğazını bağlasa, (bu günə qədər Tehran belə təhdidlər etməyib) \"neftin qiyməti əhəmiyyətli dərəcədə artacaq\", - Böyük Britaniyanın Gəmiçilik Palatasının rəhbəri David Balston bildirir. \"Körfəzdən kənarda neft terminalları var, lakin onların sayı məhduddur. Buna görə, başqa yerlərdə bazar tapmalı olacaqsınız. \"Bu, Böyük Britaniyada benzin və qaz qiymətlərini əhəmiyyətli dərəcədə artıracaq, - David Balston əlavə edir. Çünki ölkəyə gətirilən neftin 5 faizi və təbii qazın 13 faizi Hörmüz boğazından keçir\". Onun sözlərinə görə, məsələnin diplomatik həlli tapılmasa bu, Qərb müttəfiqləri tərəfindən \"hərbi cavab\" ehtimalını artıra bilər. Neftin qiyməti ilə bağlı hazırda nələr baş verir? Son həftələrdə gərginliyə görə qlobal bazarlarda neftin qiyməti dəyişkən qalsa da, vəziyyət \"çox dramatik olmayıb\", - Alpha Energy konsaltinq qrupundan John Hall deyir. Bazar ertəsi günü - beynəlxalq etalon hesab olunan Brent markalı xam neftin bir barelinin qiyməti təxminən 63,5 dollar səviyyəsində olub, bu, 2019-cu ilin ən yüksək göstəricisindən cəmi 10 dollar aşağıdır. Cənab Hall hesab edir ki, neftin qiymətini diktə edən bazar ABŞ prezidenti Donald Trump-ın İrana qarşı \"təhdid və hədə-qorxularından\" təngə gəlib. \"Son vaxtlara qədər, Trump hər dəfə tvit etdikdə bazar hərəkətə gələrdi, lakin investorlarda buna qarşı immunitet yarandı \", - cənab Hall deyir. Böyük Britaniya bildirir ki, İran Stena Impero tankerini buraxmasa \"ciddi\" diplomatik nəticələrlə üzləşəcək. Bunun əvəzinə sərmayəçilər neft bazarının \"təməl göstəricilərinə\" nəzər salırlar, bu da, çox sağlam deyil. Çin iqtisadiyyatı yavaşlamaqdadır, buna görə də dünyanın ikinci ən böyük neft istehlakçısı olan ölkədə tələbat aşağı düşə bilər. OPEC (Neft ixrac edən ölkələrin birliyi) üzvü olan Səudiyyə Ərəbistanı və Rusiya kimi ölkələr ixracı azaltmaqla tələbatı canlandırmağa cəhd ediblər. Lakin ABŞ-da istehsalın əhəmiyyətli dərəcədə artmasına görə belə cəhdlər ciddi nəticə verməyib. \"Belə bir fikir yaranıb ki, ilin sonanadək bazarda həddən artıq neft olacaq, bu, qiymətləri cilovlayacaq\", - cənab Hall deyir. Bütün bunlar benzinin qiyməti üçün nə deməkdir? Bu yay Britaniyada benzinin qiyməti 2014-cü ildən bəri ən yüksək səviyyədədir. Benzinin bir litri 1,28 funt sterlinqdir (2,71 AZN). Dizel üçün qiymət isə 1,31 (2,77 AZN) funt təşkil edir, AA bildirir. Yanacaq qiymətləri üzrə AA təşkilatının rəsmi nümayəndəsi Luke Bodstadt-ın sözlərinə görə, qiymət artımında İranla yaşanan gərginliyin də rolu olub. O, yaxın bir neçə ayda qiymətlərin hazırkı səviyyədə olacağını hesab edir. Mübahisə ciddi şəkildə kəskinləşməsə qiymətlərin sıçrayışla artımı gözlənilmir, Luke Bodstadt deyir. \"Sürücülər üçün daha böyük risk\" isə funtun dollara nisbətdə dəyərdən düşməsidir. Neft qlobal bazarlarda dollara satılır. Bu arada, Britaniyanın Avropa İttifaqını heç bir razılaşma əldə edə bilmədən tərk edəcəyilə bağlı qeyri-müəyyənlik şəraitində funt sterlinqin məzənnəsi son iki ilin minimumuna çatıb. Alpha Energi qrupunun nümayəndəsinə əsasən, böyük bir ehtimalla İran Hörmüz boğazını bloklamayacaq. Lakin bu baş verərsə, \"kütləvi çatışmazlıq\" nəticəsində bir barel neftin qiyməti bəlkə də, 100 dollara çata bilər. \"Zənnimcə, bu, həqiqətən də baş versə idi, bir litr benzinin 0.20 funtadək bahalaşmasını gözləmək olardı, bu mühafizəkar qiymətləndirmədir\". Ən aktual məsələ, Stena tankerinin ələ keçirilməsinə dair Britaniyanın necə cavab verməsidir. Hazırda isə bilərəkdən təxribatlara əl atan İran, ABŞ və Böyük Britaniya arasında ciddi diplomatik oyun gedir. Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/41408510", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41429296", "doc1": "বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই এবং এ কারণে ক্ষোভও বাড়ছিল। 'মেয়েদের গাড়ি চালানোর মত বুদ্ধি নেই'- এক সপ্তাহ আগে একজন ধর্মীয় নেতার করা এমন মন্তব্য অসন্তোষ আরও উসকে দেয়। অবশেষে বহু বছর ধরে চলা প্রচারণার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেতে যাচ্ছে। সৌদি বাদশাহ সালমান এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিচ্ছে। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। সৌদি আরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেওযেতে হয়েছে। সৌদি সরকারের নতুন এই উদ্যোগকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নাওর্ট বলেন, \"আমি মনে করি সেদেশের জন্য এটি সঠিক দিক-নিদের্শনার মহান পদক্ষেপ। তারা যে এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেজন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ\"। সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে রাজকীয় এই ডিক্রি মোতাবেক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। তবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে। যদিও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি তবে এই রাজকীয় আদেশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় শরীয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে।", "doc2": "Səudiyyə Ərəbistanında qadınların küçədə yanlarında kişi olmadan gəzməkləri çox çətindir Lakin 2018-ci ilin iyununda qüvvəyə minməsi gözlənilən bu dəyişikliyə baxmayaraq həddən artıq mühafizəkar olan bu ölkədə qadınlara qadağan olunan çox şey var. Qadınlar gündəlik həyatda etmək istədikləri bir çox şey üçün kişilərdən icazə almalıdır. Bunların arasında pasport almaq, xaricə səyahət etmək, evlənmək, bank hesabı açmaq, bəzi sahələrdə şirkət təsis etmək, öz istəyi ilə əməliyyat keçirmək və həbsxanadan cıxmaq kimi şeylər də var. Bunun arxasında Səudiyyə Ərəbistanının islamın mühafizəkar qanadı olan vəhhabiliyə söykənən qaydaları və valilik sistemi dayanır. 1979-cu ildə baş verən radikal qiyamdan sonra qaydalar sərtləşdirildi. Dünya İqtisadi Forumunun 2016 Gender İndeksində Səudiyyə Ərəbistanı sadəcə müharibə şəraitində olan Suriya və Yəməndən daha yaxşı göstərici almışdı. İnsan Haqları Təşkilatı (HRW) ölkədə tətbiq edilən valilik sisteminin qadınlara ömür boyu müstəqil qərar verə bilməyən yetkinlik yaşına çatmayan insan kimi davranıldığını söyləyərək bu sistemi tənqid edir. Bu çətinliklərə baxmayaraq, bəzi qadınlar yanında kişi olmadan küçədə gəzməyin belə çətin olduğu bu ölkədə haqqları üçün etiraz aksiyaları təşkil edirlər. İki il əvvəl qadınlara səs vermək hüququ verilib Qadınlar məhkəmə sistemində də ayrı-seçkiliyə məruz qalır. Şəriətin mühafizəkar şərtlərini tətbiq edən bəzi ölkələrdə məlum olduğu kimi bir kişinin şahidliyi iki qadının şahidliyinə bərabər tutulur. Qadınların boşandıqdan sonra yeddi yaşından böyük oğullarının və doqquz yaşından böyük qızlarının onlarla birgə yaşaması üçün icazə alması da çox çətindir. Ananın Səudiyyə Ərəbistanında yaşayan bir xarici vətəndaş olması və ya müsəlman olmaması bu vəziyyəti daha da çətinləşdirir. Səudiyyə qadınlarına qadağan edilən digər şey də, abayə deyilən çarşabı geyinmədən evdən çölə çıxmaqdır. Qadınlar çarşab geyinmədən yalnız alış-veriş mərkəzlərində onlar üçün ayrılmış mərtəbələrdə gəzə bilərlər. Qadınlar burada çarşablarını çıxarmaq haqqına sahibdirlər. Bu qaydalar müsəlman olmayan qadınlar üçün tətbiq edilmir. Melania Trump (solda) və Michelle Obama da Səudiyyə Ərəbistanına ziyarət edən zaman uzun qollu paltar geymişdilər Müsəlman olmayan qadınlar başlarını örtmək məcburiyyətində deyillər. Səudiyyə Ərəbistanına gələn xarici qadınlar hava limanından çıxarkən onlara başlarını örtmələri barədə xəbərdarlıq edildiyini söyləsələr də, xarici dövlətlərin xanım başçıları və ya prezidentlərin xanımları ölkədə başlarını örtmədən gəzə bilərlər. İsraildə ərin icazə olmasa boşanmaq mümkün deyil Qadınlara Səudiyyə Ərəbistanı qədər məhdudiyyətlər tətbiq edən çox az ölkə var. Lakin yenə də qadınların müxtəlif qadağalarla qarşılaşdığı ölkələr mövcuddur. Çində Təhsil Nazirliyi qadınların mədən, tunel mühəndisliyi, aviasiya və bəzi başqa sahələrdə təhsil almasını qadağan edir. Səbəb kimi isə \"qadınların təhlükəsizliyi\" göstərilir. İsraildə boşanma iddialarına dini məhkəmələr baxdığı üçün qadınlar ərin icazəsi olmadan boşanma iddiası qaldıra bilməzlər. İngiltərədə çox az rast gəlinən məhkəmə prosesində qadına ərindən boşanmasına icazə verilməmişdi. Məhkəmə səbəb kimi ərin boşanmaq istəmədiyini göstərmişdi. İndoneziyada qadınlara dar şalvar geyinmək qadağandır Rusiyada qadınlara icazə verilməyən işlərin siyahısı var. Bunların arasında dülgərlik, yanğınsöndürən, tramvay sürücüsü və kapitanlıq var. Bu siyahı 2000-ci ildə təsdiqlənib. Şirkətlərin \"qadınlar üçün təhlükəsizlik qaydalarını təmin etdiyi halda\" bu işi yerinə yetirəcək qadınlara xüsusi icazə verilməsi mümkün olsa da, təcrübədə bir çox şirkət maliyyə xərcləri səbəbiylə bunu etmir. İndoneziyanın Lhokseumawe şəhərində isə qadınların motosikletdə kişinin arxasında sərnişin kimi normal vəziyyətdə oturması qadağan edilib. Bu şəhərdə motosikletin qadın sərnişinləri yana dönmüş vəziyyətdə otumaq məcburiyyətindədirlər. İndoneziyada qadağaya riayət etməyərək motosikletə normal vəziyyətdə minən, həm də dar şalvar geyinən bir qadın şəriət polisi tərəfindən saxlanırkən Şəhərin bələdiyyə başçısı bunu \"insanların əxlaqını qorumaq üçün\" qadağan etdiklərini açılqamışdı. Həmin şəhərdə qadınların dar şalvar geyinməsi də qadağan edilib. Dar şalvar geyinən qadınların həmin anda saxlanılacağı, şalvarın əyindən çıxarılaraq parça-parça ediləcəyi və onlara hökumətin icazə verdiyi ətəklərdən geyindirililəcəyi bildirilmişdi. Sudanda isə şalvar geyinən qadınlar qamçıyla cəzalandırılır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46408404", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50945684", "doc1": "রেগে সঙ্গীতের সবচেয়ে বিখ্যাত তারকা বব মারলে কিন্তু সেই তালিকায় রয়েছে এমন অনেক ঐতিহ্য বা সাংস্কৃতিক বিষয়, যা হয়তো অনেককে অবাক করতে পারে। রেগে সঙ্গীত জ্যামাইকায় উনিশশো ষাটের দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা 'রেগে' সঙ্গীতকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা, ইউনেস্কো, যা এ সংগীতকে রক্ষা এবং পরিচিত করে তোলার জন্য ভালো উদ্যোগ বলে মনে করা যেতে পারে। এই উদ্যোগের দশম বর্ষপূর্তিতে রেগে সংগীত তালিকাভুক্ত হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, সংস্কৃতির এসব দিক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা। কিন্তু রেগে হচ্ছে মূলধারার জনপ্রিয় একটি সংগীত, যেমন আগে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে বব মারলে বা জিমি ক্লিফের মতো সংগীত শিল্পীরা। কিন্তু ইউনেস্কোর এই তালিকায় রয়েছে অবাক করার মতো অনেক অপ্রচলিত সাংস্কৃতিক আয়োজন। আরো পড়তে পারেন: খালেদা জিয়ার নির্বাচন করা আবারো অনিশ্চিত তাবলীগ জামাতে দু'গ্রুপের দ্বন্দ্বের মূল কারণ কি? সংসদ নির্বাচন: সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে কি? ক্যাটালোনিয়ার অন্যতম প্রাচীন রীতি এই মানব স্তম্ভ ক্যাটালান মানবস্তম্ভ ক্যাটালোনিয়া এবং স্পেনের আরো কয়েকটি অঞ্চলে মানব শরীরের পিরামিড বানানোর রীতি রয়েছে, যা ১৭০০ শতক থেকে চলে আসছে। তারা এভাবে নারী, পুরুষ এবং শিশুরা মিলে একজনের ওপর আরেকজন দাঁড়িয়ে দশ তলার সমান পিরামিড তৈরি করে। হুরলিং হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের এক ধরণের খেলা, যা দেখে মনে হবে ফুটবল, রাগবি আর হকির একটি মিশ্রণ আইরিশদের মিশ্র খেলা হুরলিং হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের এক ধরণের খেলা, যা দেখে মনে হবে ফুটবল, রাগবি আর হকির একটি মিশ্রণ। প্রায় চার হাজার বছর ধরে আয়ারল্যান্ডের এই খেলা চলে আসছে। খেলাটি লম্বা একটি লাঠি দিয়ে খেলা হয়, গোলপোস্ট আছে এবং ছোট একটি বল আঘাত করে, লাথি মেরে অথবা হাত দিয়ে খেলা হবে। ভালোমতো আঘাত করতে পারলে এই বলের গতি হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। মোবাইল প্রযুক্তির সম্প্রসারণের কারণে এই রীতি এখন খানিকটা হুমকির মুখে পড়েছে তুরস্কের 'পাখি ভাষা' তুরস্কের 'পাখি ভাষা' তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী একটি গ্রামের বাসিন্দারা উন্নতমানের এক ধরণের শিস দেয়ার পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে অনেক দূরে যোগাযোগ করা সম্ভব। তবে মোবাইল প্রযুক্তির সম্প্রসারণের কারণে এই রীতি এখন খানিকটা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে 'পাখি ভাষা' নামে পরিচিত এই রীতিটি ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে। নেপলসের পিৎজা শিল্প রয়েছে ইউনেস্কোর তালিকায় নেপলসের পিৎজা ইউনেস্কোর তথ্য মতে, ইতালির শহর নেপলসে ৩ হাজারের বেশি পিৎজাইওলি বা পিৎজা শিল্পী বাস করেন। তাদের এখনকার প্রধান পেশা হচ্ছে মূলত নবীনদের পিৎজা বানানো শেখানো। সুতরাং বলা যেতে পারে, বিশ্বের পিৎজা তৈরির শিল্প কোন না কোনভাবে নেপলসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ওরোমো জাতিগোষ্ঠী এখনো পরিচালিত হয় তাদের প্রাচীন 'গাডা' শাসন পদ্ধতি দিয়ে আদিবাসী সরকার ইথিওপিয়ার ওরোমো আদিবাসী গোত্রের লোকজন এখনো তাদের প্রথাগত শাসন পদ্ধতি ধরে রেখেছে, যাকে বলা হয় 'গাডা'। এই পদ্ধতিতে তাদের নিয়মমাফিক তাদের নেতা পরিবর্তিত হয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় কর্মকাণ্ড তাদের নিজেদের প্রাচীন রীতিনীতি অনুসরণ করে করা হয়। অরগান গাছে মানুষ এবং ছাগল, উভয়েই ওঠে গাছে ওঠা ছাগল এবং বীজ চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে জনপ্রিয় অরগান তেল আসে মরক্কোর স্থানীয় একটি গাছের ফল থেকে, যে গাছের বীজ তৈরি হয় ওই গাছে ওঠা ছাগলের মাধ্যমে। গাছ থেকে যেকোনো সময়ই ফল আহরণ করা যেতে পারে। কিন্তু বহু কাঙ্ক্ষিত এই তেলের জন্য চাষাবাদ করতে হলে বীজ দরকার হবে, আর সেই বীজ তৈরি হবে যদি কোন ছাগল গাছটিতে ওঠে। স্থানীয় রীতি এবং অর্থনীতির দিক বিবেচনা করে ২০১৪ সালে এটিকে ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত করা হয়। পাকিস্তানের কালাশ জাতিগোষ্ঠীর ভেতর বেশ কিছু আলাদা ধরণের প্রথা রয়েছে সূর্যের জন্য অপেক্ষা সূরি যাজেক হচ্ছে পাকিস্তানের আদিবাসী কালাশ গোত্রের মানুষজনের প্রথাগত আবহাওয়া এবং জ্যোতিষ চর্চার একটি ধরণ। সূর্য, চন্দ্র এবং তারার অবস্থান পর্যালোচনা করে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমন কখন তাদের চাষাবাদের মৌসুম শুরু হবে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর দিনক্ষণ কি হবে? এমনকি গৃহপালিত পশুর মিলন কখন ঘটানো হবে, সেটাও নির্ভর করে এই রীতির ওপরে। অনেক বয়স্ক জেজু নারী এখনো গভীর সমুদ্রে ডুবে ঝিনুক তুলে আনেন গভীর সমুদ্রের নারীরা দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে একটি সম্প্রদায় রয়েছে, যেখানে নারীরা সমুদ্রের ১০ মিটার গভীরে গিয়ে ঝিনুক সংগ্রহ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু কেউ কোন অক্সিজেন বোতল বা মাস্ক ব্যবহার করেন না। তাদের অনেকের বয়স এমনকি আশি বছর। চীনে এখনো গণনায় ব্যবহৃত হয় প্রাচীন পুঁতি চীনের পুঁতি এই পুঁতি বা জপমালার আসলে জন্ম কোথায়, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে গণনার যন্ত্র হিসাবে পুঁতির বিস্তার হয়েছে চীনে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মৌখিকভাবে চলে আসা সহজ সূত্রের ভিত্তিকে এই পুঁতি ব্যবহার করে সাধারণ হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে জটিল হিসাবও করা যায়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় যহুসুয়ান, যা এখনো চীনে ব্যবহার করা হয় এবং শেখানো হয়।", "doc2": "Paylaşımın sonu YouTube, 1 Video açılmırsa, YouTube-dan izləyin. 2019-cu ilin siyahısı da çox rəngarəngdir. Bu siyahıya Perunun Milad rəqsi və İndoneziyanın əlbəyaxa döyüş sənəti düşüb. İndoneziyanın \"Pencək silat\" adlı məşhur döyüş sənət növü VI əsrə aiddir. Qırğızların papaq tikmək sənəti də \"qeyri-maddi irsə\" əlavə olunub. \"Kalpak\" adlı papaqlar bu Orta Asiya ölkəsinin milli simvoludur. Siyahıda ərəblərin xurma yetişdirmək ənənəsi də öz yerini tapıb. Mərakeşin musiqi ənənəsi də tanınıb. Qnava qaradərili afrikalıların Mərakeşə gətirdiyi xalq musiqisidir. Qızılgüllərinin bu siyahıya düşməsi isə suriyalıları sevindirib. Dəməşq qızılgülünü yetişdirmək tay masajı kimi qədim ənənədir. Hər iki ənənə 40-dan çox qeyri-maddi nümunəni bir araya gətirən UNESCO siyahısına daxil edilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49750420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49700897", "doc1": "হামলার বিষয়ে ব্রিফ করছেন কর্ণেল মালকি তারা বলছে আঠারোটি ড্রোন আর সাতটি ক্রুজ মিসাইল একটি জায়গা থেকেই ছোঁড়া হয়েছিলো কিন্তু এগুলো ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয়নি বলেই দাবি তাদের। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা অবশ্য আগেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শনিবারের ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটি যে কোনো হামলার স্বীকার হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছিলো যে ওই হামলার পেছনে ইরানই ছিলো। বুধবার সৌদি আরবে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একে 'অ্যাক্ট অব ওয়ার' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন এ ঘটনার জবাব দেয়ার জন্য 'অনেক বিকল্প' ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। \"চূড়ান্ত একটি বিকল্প আছে এবং এছাড়া আরও বিকল্পও আছে। এবং আমরা দেখবো। আমরা শক্তিশালী অবস্থানে আছি\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সৌদিতে হামলা: বাংলাদেশে তেল সঙ্কট তৈরি করবে? সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনা সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তেল-ক্ষেত্রে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে কি প্রমাণ পেলো সৌদি আরব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রমাণাদি উপস্থাপন করে সৌদি আরব যাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়েছিলো। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি বলেছেন যারা যা উপস্থাপন করেছেন সেটিই প্রমাণ করে হামলা এসেছিলো উত্তর দিক থেকে এবং সেটি 'প্রশ্নাতীতভাবেই ইরান দ্বারা পরিচালিত'। কর্নেল মালকি অবশ্য বলেন, তারপরেও তারা যেখান থেকে হামলা হয়েছে সেই পয়েন্টটি চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। যে সব ধ্বংসাবশেষ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে তারমধ্যে ইরানের ইউএভি বা চালকবিহীন উড়ন্ত বাহনের 'ডেল্টা উইং' ছিলো বলেও দাবি করা হয়। \"কম্পিউটারে ইউএভি ডাটা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে এটি ইরানের\", বলছেন মিস্টার মালকি। তিনি বলেন ১৮টি চালকহীন বাহন দিয়ে হামলা হয় আবকাইক তেল শোধনাগারে এবং সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে দুটি জায়গায়। এর মধ্যে চারটি খুরাইজ তেলক্ষেত্র ও তিনটি পড়ে আবকাইকে। কর্নেল মালকি বলেন যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সেগুলো এসেছিলো উত্তর অভিমুখে। তিনি ম্যাপ ও ক্ষয়ক্ষতির ছবিসহ আবকাইকে চালকবিহীন যানের হামলার ভিডিও প্রদর্শন করেন। তবে ঠিক কোথা থেকে হামলাটি এসেছে সে জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি বের করা মাত্রই প্রকাশ করা হবে। হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে সৌদি আরব ইরান কি বলছে? ইরানের দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে ইরানের একটি কূটনৈতিক নোট দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, \"ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তা দ্রুতই ইরানের জবাবে পাবে\"। রয়টার্স ইরানের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে বলেছে সংবাদ সম্মেলন দেখাচ্ছে যে সৌদি আরব ওই হামলার বিষয়ে 'কিছুই জানেনা'। ওদিকে ইয়েমেন হুতি বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বলছে স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবিগুলো বানানো এবং সৌদি আরব প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি চেপে গেছে। সামরিক মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারিয়া জোর দিয়ে বলেছেন যে হুতিরাই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আবার তেল উত্তোলন শুরু করে সৌদি আরব পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে যাচ্ছে? যদিও যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে বলেছে যে তাদের বিশ্বাস ইরানই হামলার পেছনে কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক জবাবে খুব একটা উৎসাহী নন। বুধবার তিনি বলেছেন সামরিক সংঘাতে জড়ানো সহজ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্য ঘটনার অভিজ্ঞতা হলো পরে এটি জটিল হয়ে উঠে। তবে সৌদি আরবের ব্রিফিং এর আগে মি. ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আরও তথ্য পাওয়া যাবে। ওদিকে মাইক পম্পেও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সাথে দেখা করে আলোচনা করেছেন। আর হামলার বিষয়ে তদন্ত করতে আসা জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরব ছেড়ে গেছেন।", "doc2": "Səudiyyə tərəfinin bildirdiyinə görə, dəlillər hücumun Yəmən istiqamətindən keçirilmədiyini göstərir Nazirlik bildirib ki, 18 dron və 7 qanadlı raketin atıldığı istiqamət onların Yəməndən qaynaqlandığını istisna edir. İran bu hadisədə hər hansı bir iştirakı barədə ittihamları rədd edərək xəbərdarlıq edib ki, onu hədəfləyən istənilən hücumun qisası alınacaq. Dronların və qanadlı raketlərin qalıqları Müdafiə Nazirliyinin mətbuat konfransında nümayiş etdirilib. Müdafiə Nazirliyinin sözçüsü Türki əl-Məliki deyib ki, dəlillər hücumun şimaldan başladığını və \"şübhəsiz İranın sponsorluğu ilə\" həyata keçirildiyini göstərib. Bununla belə, o qeyd edib ki, \"hücumun start nöqtəsinin dəqiq müəyyənləşdirilməsi məqsədiylə araşdırma davam etdirilir\". Bundan əvvəl Amerika Birləşmiş Ştatları (ABŞ) Səudiyyənin neft obyektlərinə hücumlarda istifadə olunmuş dronlar və kruiz raketlərinin \"qalxma nöqtələrinin müəyyən olunduğunu və həmin yerlərin İranda olduğunu\" açıqlayıb, məlumatlarda deyilir. ABŞ-ın bir yüksək vəzifəli rəsmisi CBS News kanalına deyib ki, təyyarələr İranın cənubundan, Körfəzin şimal tərəfindən qalxıb. Səudiyyənin havadan müdafiə sistemləri hücumları dayandıra bilməyib, çünki onlar Yəməndən ola biləcək hücumların qarşısını almaq üçün cənuba yönəldilib, rəsmi deyib. İran şənbə günü Yəməndəki Husi qruplaşmasının törətdiyi hava hücumunda iştirakını təkzib edir. Husi qruplaşması dünyanın ən böyük neft istehsalı müəssəsi olan Abqaiq və Xurais neft mədənlərini vurduqlarını bəyan edib. ABŞ bundan əvvəl hava hücumunun istiqaməti üzrə peyk görüntülərini yayımlayıb. Birləşmiş Ştatlar Səudiyyənin neft obyektlərinə hücumların arxasında İranın dayanması iddiasını dəstəkləmək üçün kəşfiyyat məlumatlarına istinad etdiklərini qeyd edib. Daha əvvəl isə adı açıqlanmayan ABŞ rəsmisi ABŞ və beynəlxalq mediaya \"hücumların istiqaməti və miqyasına görə Husilərin iştirakından şübhələndiklərini\" deyib. Bu hadisə qlobal neft tədarükünü 5 faiz azaldıb. Bu hadisə həm də neft qiymətlərinin 1991-ci ilin Körfəz müharibəsindən sonra bir gün ərzində kəskin artmasına səbəb olub, 20 faiz artım daha sonra azalma ilə müşahidə olunub. Brent markalı neftin bir barelinin qiyməti isə qəfildən 71,95 dollara yüksəlib, iki gün sonra isə bu rəqəm 7 faiz azalıb. Buna Səudiyyənin tezliklə neft hasilatını bərpa edəcəyinə dair məlumatlar səbəb olub. ABŞ hökuməti nə deyir? Həftəsonu ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo İranı ittiham edib ki, o, hücumlarda iştirak etmədiyini sübuta yetirmədən Vaşinqtonu yalan danışmaqda günahlandırır. Bazar günü ABŞ prezidenti Donald Trump atdığı tweet-lə \"İranı günahlandırmaqdansa, günahkar bəlli olduqdan sonra mümkün hərbi əməliyyatlara başlamağı\" təklif edib. Nə baş verib? Səudiyyə Ərəbistanının dövlət neft şirkəti olan Aramco-nun idarə etdiyi iki əsas neft təsisatında dron hücumlarından sonra yanğın baş verib, dövlət mediası xəbər verib. Hadisə yerindən çəkilmiş videolarda Aramco-nun ən böyük neft istehsalı müəssəsi olan Abqaiq və Xuraisdə böyük yanğın görünür. Yəməndə İranın dəstəklədiyi Husi qruplaşmasının sözçüsü bildirib ki, onlar hücum üçün 10 dron göndəriblər. Qruplaşmanın hərbi sözçüsü Yəhya Sareya Husi hərəkatına məxsus al-Misarah TV-ə bildirib ki, gələcəkdə yeni hücumlar planlaşdırılır. O bildirib ki, şənbə günü həyata keçirilmiş hücumlar Husi qüvvələrinin Səudiyyə Ərəbistanında həyata keçirdiyi ən böyük əməliyyatlardan biridir və ona \"krallığın içindəki dəyərli insanlar da dəstək verib\". Səudiyyə rəsmiləri hələ ki, hücumla bağlı şərh verməyiblər. İranın dəstəklədiyi Husi üsyançıları hərəkatı Yəmən hökuməti və Səudiyyənin rəhbərlik etdiyi koalisiyaya qarşı vuruşur. 2015-ci ildə Yəmən prezidenti Abdrabbuh Mansour Hadi Husi qruplaşması tərəfindən ölkə paytaxtə Sananı tərk etməyə məcbur edildikdən sonra Yəməndə müharibədir. Səudiyyə Ərəbistanı Prezident Hadini dəstəkləyir və üsyançılara qarşı region dövlətlərinin koalisiyasına rəhbərlik edir. Koalisiya qüvvələri demək olar ki, hər gün üsyançılara qarşı havadan zərbələr endirir. Husi üsyançıları isə tez-tez Səudiyyə Ərəbistanını raket atəşinə məruz qoyurlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42218712", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42220672", "doc1": "বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়মান সাফাদি বলেছেন, এমন সিদ্ধান্তে আরব ও মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়বে। এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট রেক্স টিলারসনের সাথে আগেই কথা হয়েছে তাঁর। ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ছিল এ বিষয়টি। এক টুইটে মি. সাফাদি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হলে তা শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। মি. ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বলেছেন এবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। মি. ট্রাম্পকে এমন ঘোষণা থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তাঁর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয় রবিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়েপ এরদোয়ানসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের ফোন করেছেন তিনি। তিনি \"জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বা সেখানে আমেরিকান দূতাবাস স্থাপন করলে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে ধারণা দিতে\" আান্তর্জাতিক নেতাদের সাথে কথা বলেছেন বলে এএফপি'কে জানিয়েছেন মি. আব্বাসের উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি। ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে মুসলিম বিশ্বে এমন সিদ্ধান্ত ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনকে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পথে আরো বাধা সৃষ্টি করবে বলে ফিলিস্তিনের নেতারা আগেই সতর্ক করেছেন। ১৯৬৭ র মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। ১৯৮০'তে তারা এই এলাকা আত্মসাৎ করে ও নিজেদের এলাকা বলে দাবী করে। আন্তর্জাতিক আইনে এই এলাকাকে দখল হওয়া অঞ্চল বলে অভিহিত করা হয়। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা সংকট: প্রয়োজনীয় অর্থের ৩৪ শতাংশ সংগ্রহ উবার-নির্ভর হয়ে উঠছে ঢাকা শহর ঢাকায় 'রোহিঙ্গা' বলে মিয়ানমারে তোপের মুখে পোপ অবিভক্ত জেরুজালেমকে স্থায়ী রাজধানী হিসেবে চায় ইসরায়েল। আর পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৮ এর পর থেকে আলোচনার মাধ্যমে জেরুজালেম দ্বন্দ্বের সমাধানের কথা বলে এসেছে সব আমেরিকান প্রশাসন। তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষপাতী নন যাতে আলোচনার সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে। গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইসরায়েলের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন প্রকাশ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনেই তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেবেন তিনি। তেল আভিভ থেকে জেরুজালেম আমেরিকান দূতাবাস সরানোর প্রতিশ্রুতি ছিল ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় তারপর থেকে এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে বুধবার বক্তব্যে তিনিএই ঘোষণা দেবেন। রোববার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নেতাদের এক সভায় মি. ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা মি. কুশনার বলেন, প্রেসিডেন্ট যথাযথ সময়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, \"প্রেসিডেন্ট বিষয়টির খুঁটিনাটি যাচাই করছেন। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে তিনিই আপনাদের জানাবেন। \"", "doc2": "Israil Yerus'limi özünün bölünməz paytaxtı olaraq görür, lakin fələstinlilər Şərqi Yerusəlimi gələcək dövlətlrinin paytaxtı olmasını istəyirlər O, bu cür hərəkətə ərəb və müsəlman dünyasında qəzəbli reaksiya olacağını ABŞ dövlət katibi Rex Tillerson-a telefon zəngində bildirdiyini deyib. Son zamanlar spekulyasiya yaranıb ki, ABŞ prezidenti Donald Trump seçki kampaniyasında vəd etdiyi kimi Yerusəlimi İsrailin paytaxtı olaraq tanımağa hazırlaşır. Donald Trump-ın kürəkəni Jared Kushner, hələlik bu barədə heç bir qərarın verilmədiyini bildirib. ABŞ Dövlət Departamentindən bununla bağlı rəsmi reaksiya olmayıb. Həmçinin oxuyun: Hazırda ABŞ-ın İsrailə səfirliyi Tel Aviv şəhərində yerləşir Fələstin Ərazilərinin prezidenti Mahmud Abbas ehtimal olaraq, beynəlxalq liderlərə müraciət edərək cənab Trump-ı bu addımdan uzaqlaşdırmaqda kömək istəyir. Prezidentin ofisi onun bazar günü Fransa prezidenti Emmanuel Macron və Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğanla da söhbət etdiyini deyib. Fələstinli liderlər bundan əvvəl xəbərdarlıq ediblər ki, bu addım Fələstin-İsrail münaqişəsində \"iki dövlət həllinə\" böyük təhlükə yarada bilər. 1967-ci ildəki Yaxın Şərq müharibəsindən etibarən Şərqi Yerusəlim İsrailin nəzarətindədir. 1980-cı ildə İsrail ərazini ilhaq edib. İsrail Yerusəlimi özünün daimi və bölünməmiş paytaxtı olmasını istəyir. Lakin fələstinlilər Şərqi Yerusəlimi gələcəkdə yaranacağına ümid bəslədikləri dövlətlərinin paytaxtı olmasını istəyirlər. 1948-ci ildən bəri ABŞ prezidentləri və hökumətləri Yerusəlimin statusunun danışıqlar nəticəsində həll olunacağı mövqeyini tutublar. Keçən ilin seçki kampaniyasında cənab Trump İsraili dəstəklədiyini bildirərək prezidentliyinin ilk günündən ABŞ-ın İsraildəki səfirliyini Tel Avivdən Yerusəlimə köçürəcəyini vəd etmişdi. Cənab Trump bu addımı hələ ki, atmasa da, son günlərdə spekluyasiya yaranıb ki, o, bu qərarı çərşənbə günü bəyan edəcək."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49701074", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48323269", "doc1": "সৌদি তেল স্থাপনার ওপর ড্রোন হামলা হয়েছে অন্তত দশটি ড্রোন ব্যবহার করে আবকাইক শোধনাগার এবং খুরাইস তেলক্ষেত্রের ওপর আক্রমণ চালানো হলে এগুলোতে আগুন ধরে যায়, তবে সবশেষ খবরে সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন দুটি স্থাপনাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, তারাই এ আক্রমণে চালিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সৌদি আরবের ওপর তাদের আক্রমণের আওতা আরো সম্প্রসারিত করা হবে। হুতি বিদ্রোহীদের সাথে ইয়েমেনে সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ চলছে। সৌদি আরবের সরকারি প্রেস এজেন্সি জানায়, শনিবার ভোর চারটার দিকে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি আরামকোর নিরাপত্তা দল - আবকাইক ও খুরাইসের দুটি স্থাপনায় ড্রোন আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কারা এ আক্রমণের পেছনে আছে, বা এতে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে সৌদি কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করেন নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প আবকাইকে আক্রান্ত তেল শোধনাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সেখান থেকে একশ কিলোমিটার দূরের খুরাইস হচ্ছে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র। কিন্তু ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র আল-মাসিরা টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, তারা ১০টি ড্রোন ব্যবহার করে এই আক্রমণ চালিয়েছেন, এবং ভবিষ্যতে আরো আক্রমণ চালানো হতে পারে। ২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সাথে সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের লড়াই চলছে, এবং গত কয়েক মাসে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের ভেতরে সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আবকাইকে আক্রান্ত তেল শোধনাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সেখান থেকে একশ কিলোমিটার দূরের খুরাইস হচ্ছে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র। খুরাইসে বিশ্বের মোট চাহিদার ১ শতাংশ তেল উৎপন্ন হয়, আর আবকাইক তেল শোধনাগার বিশ্বের সরবরাহের ৭ শতাংশ তেল যোগান দেবার ক্ষমতাসম্পন্ন। এ আক্রমণে ক্ষতির পরিমাণ কত তার ওপর নির্ভর করে - আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক বাজার খুললে তেলের দামের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে। ড্রোন হামলা বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাথান মার্কাস বলছেন, সর্বসাম্প্রতিক এই হামলা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে সৌদি আরবের তেল স্থাপনাগুলো হুতি বিদ্রোহীদের দিক থেকে কৌশলগত হুমকির মুখে রয়েছে। হুতিদের ড্রোন আক্রমণ চালানোর দক্ষতা যেভাবে বাড়ছে তাতে এই বিতর্কটা আবার নতুন করে সামনে চলে আসছে যে তাদের এই সক্ষমতা অর্জনের পেছনে কারা আছে। তারা কি বাণিজ্যিক পর্যায়ের বেসমারিক ড্রোনকে অস্ত্র ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে, নাকি ইরানের বড়ধরনের সহায়তা তাদের পেছনে রয়েছে - এটাও একটা প্রশ্ন। মি: মার্কাস বলছেন, মি: ট্রাম্প সম্ভবত এর জন্য ইরানের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলবেন, কিন্তু ড্রোন হামলার পেছনে ইরানের হাত কতখানি তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সৌদি বিমান বাহিনী কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনে লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । এখন দেখা যাচ্ছে অনেকটা সীমিত সক্ষমতার হলেও হুতিদের হাতেও পাল্টা হামলা চালানোর ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। জনাথান মার্কস বলছেন, শক্তিধর মুষ্টিমেয় কিছু দেশের কাছেই একমাত্র সশস্ত্র ড্রোন পরিচালনার সক্ষমতা আছে - এমন দিন শেষ হয়ে গেছে। ড্রোন প্রযুক্তি এখন আমেরিকা থেকে চীন, ইসরায়েল এবং ইরান,এমনকী হুতি থেকে শুরু করে হেযবোল্লাদের হাতেও পৌঁছে গেছে, যদিও প্রযুক্তির মানের হেরফের রয়েছে। হুতি কারা? সৌদি নেতৃত্বাধীন জোাট নিয়মিত ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন সরকার এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে লড়াই করছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে ২০১৫ সাল থেকে। হুতিদের হামলার কারণে প্রেসিডেন্ট আবদ্রাববু মনসুর হাদি রাজধানী সানা থেকে পালিয়ে যান ২০১৫ সালে। প্রেসিডেন্ট হাদির পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের সমর্থন এবং হুতি বিদ্রোহীদের হঠাতে সৌদি আরব ওই অঞ্চলের কিছু দেশ নিয়ে গঠিত একটি জোটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই জোট ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা চালায়। হুতিরাও সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। হুতি গোষ্ঠির একজন সামরিক মুখপাত্র মি: সারিয়া আল মাসিরাকে বলেছেন, সৌদি লক্ষ্যবস্তুর ওপর তাদের আক্রমণ ''আরও বাড়বে এবং সৌদি আগ্রাসন ও অবরোধ অব্যাহত থাকলে অতীতের তুলনায় এসব হামলা তাদের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে''। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে? নাইন-ইলেভেন শিশু জন্মাল ১১/৯ ন'টা ১১-এ ওজনও ৯:১১ লাদাখে ভারত ও চীনা ফৌজের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি", "doc2": "Hörmüz Boğazının 2017 ildə çəkilmiş peyk görüntüsü BƏƏ Füceyrə limanı yaxınlığında fərqli ölkələrin bayraqları altında üzən dörd gəminin hədəf alındığını açıqladı. Rəsmi Riyad hesab edir ki, partlamalar dünya neft mənbələrinin təhlükəsizliyinə qarşı yönəlib. Füceyrə limanı dünyanın ən böyük yanacaqdoldurma xətti olan Hörmüz boğazının girişindədir. Hörmüz boğazı isə Yaxın Şərqin neft hasilatçısı ölkələrinin Asiya, Avropa, Şimali Amerika və digərlərinə neft göndərdiyi kritik bir marşrutdur. Bura həmçinin onillərdir davam edən regional gərginliklərin də mərkəzidir. Hörmüz boğazı haradadır, hansı böyüklükdədir? Boğazın ən dar hissəsinin eni 33 kilometrdir. Bu su kanalının hər iki tərəfində 3 kilometrlik ixrac marşrutu mövcuddur. Nə üçün önəmlidir? ABŞ Enerji İnformasiya İdarəsinin təxminlərinə görə, 2016-cı ildə boğazdan gündə 18,5 milyon barrel neft daşınıb. \"Vortexa\" şirkətinin hesablamalarına görəsə, 2017-ci ildə bu rəqəm 17,2 milyon barrel, 2018-ci ilin ilk yarısında 17,4milyon barrel olub. Dünya üzrə gündəlik neft istehlakı təxminən 100 milyon barreldir, bunun beşdə biri Hörmüz boğazından daşınır. Nəql edilən xam neftin böyük bir hissəsi Neft İxrac edən Ölkələr Birliyindəki (OPEC) Səudiyyə Ərəbistanı, BƏƏ, İraq və İrandan ixrac edilərək Hörmüz boğazı vasitəsilə başqa ölkələrə çatdırılır. Dünyanın ən böyük LNG ixracatçısı Qətərin istehsal etdiyi təbii maye qazın, demək olar ki, hamısı bu marşrutla göndərilir. 1980-88-ci illərdəki İran-İraq müharibəsində hər iki tərəf bir-birinin neft ixracatına problemlər yaratmış, bu gərginlik \"tanker müharibəsi\" kimi tarixə düşmüşdü. ABŞ-ın Bəhreyndə dislokasiya olunmuş 5-ci eskadrilyasına ticari gəmiləri qorumaq tapşırığı verilmişdi. İran 2015-ci ildə ABŞ və digər 5 böyük dövlətlə nüvə müqaviləsi imzalayaraq sanksiyaların ləğvi təqdirində nüvə proqramını məhdudlaşdırmağa razılaşdı. Ancaq ABŞ prezidenti Donald Trump müqavilədən çəkiləndən sonra 2018-ci ildə İrana qarşı sanksiyalar yenidən bərpa edildi. ABŞ İranın nüvə silahı istehsalını davam etdirməsindən narahatdır, rəsmi Tehransa bu iddianı rədd edir. Daha əvvəl həm BƏƏ, həm də Səudiyyə Ərəbistanı daha çox neft xətti inşa edilməsi də daxil olmaqla, Hörmüz boğazında yan keçəcək fərqli alternativləri araşdırmışdı. Hörmüz boğazında baş vermis qarşıdurmalar Hörmüz boğazı ABŞ və İranın qarşı-qarşıya gəldiyi bir çox tarixi hadisəyə səhnə oldu. 1988-ci ildə ABŞ-a məxsus hərbi gəmi \"USS Vincennes\" İranın sərnişin təyyarəsini vurdu, təyyarədəki 290 nəfər həlak oldu. Rəsmi Washington onu səhvən hərbi təyyarə bilərək hədəfə alındığını açıqladı. Ancaq İran hadisənin qəsdən törədilməsində israr etdi. 1988-ci ildə ABŞ-a məxsus hərbi gəmi \"USS Vincennes\" İranın sərnişin təyyarəsini vurdu, təyyarədəki 290 nəfər həlak oldu Rəsmi Washington həmçinin bildirdi ki, \"USS Vincennes\" hərbi gəmisi neftdaşıma gəmilərini İran donanmasının hərbi hücumlarından qorumaq üçün o bölgədə saxlanır. 2008-ci ildə isə rəsmi Washington iddia etdi ki, İrana aid gəmilər ABŞ-ın üç hərbi gəmisinə yaxınlaşaraq onları təhdid edib. İran İnqilab Keşikçilərinin o vaxt rəhbəri olan Məhəmməd Əl-Cəfəri hücuma məruz qalacaqları təqdirdə boğazdakı gəmiləri tutacaqlarını açıqladı. 2010-cu ildə Əl-Qaidəyə bağlı Abdulla Əzzam Briqadaları Hörmüz boğazındakı Japoniya neft tankeri \"M Star\"a hücum çəkdi. 2012-ci ildə rəsmi Tehran İranın neft gəmilərini hədəfə almaqda günahlandırdığı ABŞ və Avropanın sanksiyalarına Hörmüz boğazını blokada altına almaq təhdidiylə cavab verdi. 2015-ci ildə İran bir qazma platformasına ziyan vurduğu səbəbilə Sinqapur bayraqlı tankeri hədəf aldı, bir konteyner gəmisini isə ələ keçirdi. 2018-ci ilin iyul ayında İran prezidenti Həsən Ruhani bu ölkənin neft ixracatını sıfıra endirmək təklifini səsləndirən ABŞ-ı Hörmüz boğazındakı neft nəqlinə problemlər yaratmaqla hədələdi. İran İnqilab Keşikçilərinin bir rəsmisi isə İrandan neft ixracı durdurulacağı təqdirdə Hörmüz boğazındakı ixracatını tamamilə əngəlləyəcəkləriylə bağlı xəbərdarlıq etdi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45505477", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-45535869", "doc1": "এ বছর বিশ্বে ১ কোটি ৮১ লক্ষ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০১২ সালের তুলনায় ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বিশ্বে বাড়ছে। দারিদ্র নয়, বরং জীবনযাপন মানের কারণে এটি ঘটছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার(আইএআরসি) বলছে, প্রতি পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন আর প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। ওই প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে, এ বছর বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর অর্ধেকই ঘটবে এশিয়ার দেশগুলোয়। বাংলাদেশের অবস্থা কেমন? আইএআরসির হিসাবে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৮১ জন। আক্রান্ত তালিকায় মুখের ক্যান্সার, ফুসফুস, ব্রেস্ট, জরায়ু মুখের মতো ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা যেখানে ৮২ হাজার ৭১৫জন, নারীদের সংখ্যা ৬৭ হাজার ০৬৬জন। বাংলাদেশের মেয়েরা স্তন ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ। তবে বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। এরপরেই রয়েছে জরায়ু মুখ এবং গল ব্লাডারের ক্যান্সার। আরো পড়তে পারেন: 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' কর্মস্থলে বৈষম্যের শিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের অনেকেই 'আমি তো সুস্থ আমি কেন ডাক্তারের কাছে যাবো?' বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার (রাসকিন) বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তুলনামূলক ভাবে এখনো বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের হিসাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার কিছুটা কম। কিন্তু নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কেন নারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে? সর্বশেষ এই গবেষণা বলছে, বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। এছাড়া নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার আর অন্ত্রের ক্যান্সার রয়েছে। তবে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার অনেক পরিবারের জন্যই বিরাট এক দুর্যোগ গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ার কারণে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে। বিশেষ করে ইউএসএ, হাঙ্গেরি, ডেনমার্ক, চীন এবং নিউজিল্যান্ডসহ ২৮টি দেশে এই প্রবণতা দেখা গেছে। ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, ''নারীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন। এখন মেয়েরা অনেক বেশি পথেঘাটে বের হচ্ছেন, কর্মজীবী হচ্ছেন অনেকেই সিগারেট বা মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তারা এখন অনেক বেশি পথেঘাটে ধোয়াধুলার মধ্যে কাজ করছেন। বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, অনিয়মিত খাবার বা ফ্যাটি খাবার খাওয়াও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে দুষলেন সু চি ভুয়া ঠিকানায় ভর্তি: ১৫ বছর পাবনা মানসিক হাসপাতালে আলিবাবা'র জ্যাক মা সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য আইফোন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে নিয়ে নতুন সেট তিনি বলছেন, ''বাংলাদেশের নারীরা সবাই ধূমপান না করলেও, নারীদের বড় একটি অংশ পানের সঙ্গে জর্দা, সাদাপাতা বা এ ধরণের তামাকজাত খেয়ে থাকেন। সেটাও কিন্তু ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।'' ''একসময় মেয়েদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার বেশি হলেও এখন স্তন ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে।'' আগের তুলনায় ক্যান্সারের মতো রোগে নারীদের সচেতনতা বাড়ায় এ ধরণের ঘটনা বেশি সনাক্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সারের মতো ক্ষেত্রে নারীরা এখন অনেকেই নিয়মিত পরীক্ষা করাচ্ছেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ধরতে না পারা বা সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বড় কারণ। বাংলাদেশে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল মাত্র চারটি ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, অনেক সময় লক্ষণগুলো দেখা দিলেও সেটা অবহেলা করে চিকিৎসকের কাছে আমরা যাই না বা নিজেরাই কোন ওষুধ খেয়ে ফেলি। ফলে পরে যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে ওজন কমে যাওয়া, দুই সপ্তাহের বেশি খুসখুসে কাশি, পায়খানা বা মাসিকের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, হঠাৎ গলা ভেঙ্গে যাওয়া, মাঝে মাঝে জ্বর আসা ইত্যাদি হলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এসব অন্য কারণেও হতে পারে। কিন্তু ক্যান্সার হলে প্রথমদিকেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা মি. তালুকদার বলছেন, বাংলাদেশে এখন সব ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা রয়েছে। হরমোন থেরাপি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে সব ধরণের ওষুধও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন তবে এসব সেবার বেশিরভাগই ঢাকা কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। ঢাকার বাইরে কয়েকটি মেডিকেল কলেজে সীমিত আকারে চিকিৎসা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার জন্য রোগীদের ঢাকায় আসতে হচ্ছে। কয়েকটি সরকারি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতালের বাইরেও বেসরকারি ভাবে অনেক হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে অনেক রোগীর তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা কম হওয়ায় রোগীদের সেবা পেতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় খরচ অনেক কম বলে চিকিৎসকরা বলছেন। তবে আগের তুলনায় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতা বাড়ছে বলে তিনি জানান।", "doc2": "2012-ci ildə isə rəqəmlər uyğun şəkildə 14.1 milyon və 8.2 milyon olub. Bu artıma səbəb dünya əhalisinin artması və yaşlanma sayıdır. Rəqəmlər göstərir ki, hər beş kişi və hər altı qadından biri xəstəliyə tutulur. Ölkələr varlandıqca əhalisinin xərçəngə tutulma riski, kasıb ölkələrin əhalisinə nisbətən daha da artır. Xərçəng üzrə Beynəlxalq Araşdırma Mərkəzi (IARC) dünyada xərçəngə tutulma halları ilə bağlı mütəmadi məlumatlar təqdim edir. Xüsusilə də 185 ölkədə xərçəngin 36 müxtəlif növünü yaxından izləyir. Araşdırmaçılar, illər ərzində xərçənglə bağlı məlumatların toplanması və ölçülməsi prosesinin inkişaf etdiyini desələr də, xərçəng və xərçəng əsaslı ölüm halları ildən-ilə artaraq ümumi bir trendə çevrilib. Onların son hesabatı göstərir ki, insanların düçar olduğu və öldüyü xərçəng növlərindən üçdə biri ağciyər xərçəngi, qadınlarda süd vəzisi xərçəngi və bağırsaq xərçənginin payına düşür. 'Tütünə nəzarət' Müəlliflər, 28 ölkədə qadınların ölümünə daha çox səbəb olan xərçəngin ağciyər xərçəngi olduğunu deyirlər. Bu mənada ən pis göstəriciyə malik ölkələrə ABŞ, Macarıstan, Danimarka, Çin və Yeni Zelandiya daxildir. Birləşmiş Krallığın (Britaniya) Xərçəng Araşdırması (Cancer Research UK) adlı xeyri cəmiyyətindən George Butterworth deyib: \"Dünya üzrə qadınların əvvəlki illərdən daha çox ağciyər xərçənginə yoluxmasının yeganə ən böyük səbəbi tütündür. \"Britaniyada qadınlar kişilərdən daha çox siqaret çəkirlər və buna görə də ağciyər xərçəngi halları ilə bu qədər çox qarşılaşmaq heç də təəccüblü deyil. \"Eynilə, siqaret çəkmək aşağı və orta gəlirli ölkələrdəki qadınlar arasında da son dərəcə populyardır və tütün sənayesinin onlara yönələn aqressiv marketinq siyasəti də buna təsir göstərir.\" IARC-dan Dr Freddie Bray isə söyləyib: \"Nəticələr, dünyanın hər bir ölkəsində hədəfli və təsirli tütün nəzarəti siyasətinin tətbiqini yenidən vurğulamaq ehtiyacı yaradır.\" 'Qəribə müxtəliflik' Ümumi olaraq hesabatda, xərçəngə tutulma hallarının yarısının və bununla bağlı ölüm sayının daha çox Asiyada baş verdiyi göstərilir. Bunun bir səbəbi qitə əhalisinin sayının çoxluğudursa, digər səbəbi də yuxarı ölüm göstəricili xərçəng növlərinə regionda daha çox rast gəlinməsidir. Məsələn, təhlükəli sayılan qaraciyər xərçəngi Çində daha çox yayılıb. Bundan əlavə müəlliflər, sözügedən xəstəliyin dünyada rast gəlinən növləri və nümunələri arasında \"qəribə müxtəliflik\" olduğunu söyləyirlər. Onlar deyirlər ki, ölkələr xərçəngin qarşısının alınması və müalicəsini məhz növlər və nümunələrə uyğun tətbiq etməlidirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46877839", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46857687", "doc1": "ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক চলছে টানা দুই বছর ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন নাকি এরকম রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি আর হয়নি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আজকের এই ভোটের গুরুত্বকে এভাবেই তুলে ধরছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভোটের ফলাফলের পরিণতি কী হতে পারে ব্রিটেনের জন্য? বিবিসির ল্যরা কুনসবার্গ কতগুলো সম্ভাব্য দৃশ্যপটের কথা বলছেন। ১. এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র এই পরিকল্পনা পার্লামেন্টে পাশ হওয়ার বিন্দুমাত্র আশা কেউ দেখছেন না। কিন্তু যদি অলৌকিক কিছু যদি ঘটে যায় এবং সিংহভাগ এমপি যদি প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান, তাহলে পরিকল্পনামত তিন মাসের মধ্যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। রাজনীতিতে টেরিজা মে আরো বেশ কিছুদিন টিকে যাবেন। ২. তবে ভোটে হেরে গেলে, প্রধানমন্ত্রী মহাসঙ্কটে পড়বেন। তবে সঙ্কটের মাত্রা নির্ভর করবে পক্ষে-বিপক্ষে কত ভোট পড়ে তার ওপর। নিজের দলের এমপি-মন্ত্রীরা ছাড়াও বিরোধী লেবার পার্টি কতটা চড়াও হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে ভোটের ব্যবধানের ওপর। নানা নানারকম দাবি-দাওয়ার চাপে জেরবার হতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। ৩. বড়মাপের হার হলে, টেরিজা মের সরকারের হাত থেকে সাংসদরা ব্রেক্সিট চুক্তির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নিতে পারে। কারণ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এই চু্ক্তির ব্যাপারে মারাত্মকভাবে বিভক্ত । এমপিরা সে পথে গেলে সরকারের সাথে সংসদের সম্পর্কে মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা তৈরি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মে'র রাজনৈতিক ভবিষ্যত চরম হুমকির মুখে ৪. সিংহভাগ সাংসদ চান ব্রেক্সিট হলেও ইউরোপের সাথে যেন ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক থাকে। এই মতবাদের পক্ষেই পাল্লা ভারি। ভোটে হারলে, ব্রিটেন হয়তো সেই পথেই যাবে। একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, \"যত দেরি হবে, ব্রেক্সিটের ধার ততই কমবে।\" ৫. যদি এমপিরা বাধা তৈরি না করে, তাহলে আজ রাতের ভোটে হারলে ব্রিটেন কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। ইউরোপ বিরোধী অনেক এমপিরা সেটিই চান এবং তারা কোনো ছাড় দিতে রাজী নন। অনেক মন্ত্রী আশা করছেন, চুক্তি-বিহীন ব্রেক্সিটের পথে এগুলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু ছাড় দিতে পারে। ৬. ভোটে হারলে বিরোধী লেবার পার্টি জেরেমি করবিন কী করবেন, ধারণা করা এখনও মুশকিল। তিনি কি হুমকি মতো নতুন নির্বাচনের আশায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন। নির্ভর করবে ভোটের ব্যবধানের ওপর। এছাড়া, নতুন আরেকটি গণভোট দাবির জন্য দলের ভেতর তিনি চাপে রয়েছেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন ৭. এমপিদের যে অংশটি নতুন আরেকটি গণভোট চান, তারা অপেক্ষা করছেন দেখতে যে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় কত বড় হয়। ব্যবধান বেশি হলে, হামলে পড়বেন তারা। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের জনগণ এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দেয়, তারপর গত আড়াই বছর ধরে বিতর্ক চলছে। অনিশ্চয়তা কাটেনি, আজ রাতের পরেও যে কাটবে সে সম্ভাবনা কম।", "doc2": "Səsvermə dekabrın 11-də keçirilməli idi, lakin son anda təxirə salındı, Britaniya isə Avropa İttifaqını martın 29-da tərk etməlidir. Bu səsvermə Theresa May-ə Brexit məsələsində müxaliflərin sayını və onun B planının olub-olmamasını üzə çıxaracaq. Lakin bunu tam əminliklə demək olmaz, çünki çərşənbə axşamı səsverməni uduzacağı halda onun, texniki olaraq, hələ gələn bazar ertəsinədək müəyyən addımlar atmaq imkanları qalacaq. Misal üçün o, müqaviləni parlamentdən bir daha keçirməyə cəhd edə bilər, başqa müqavilə təklif edə bilər, ikinci referendum və ya Brexit-in yubadılması variantları da var. Səsverməyə çıxarılan nədir? Theresa May-in Brexit müqaviləsi iki hissədən ibarətdir: Britaniyın Aİ-ni tərk etməsinə dair qanun qüvvəsinə malik saziş və Brexitdən sonra münasibətlərin qurulmasına ümid ifadə edən Siyasi Deklarasiya. Theresa May-in Mühafizəkarlar partiyasında bir çox Brexit tərəfdarları hesab edirlər ki, Aİ-ni tərk etmək barədə saziş Britaniyanı Avropa İttifaqından kifayət qədər uzaq etmir. Nə baş verəcəyi ehtimal edilir? BBC Theresa May hökümətinin məğlub olacağını, özü də ki, bu məğlubiyyətin son 100 ildə baş verən hökümət məğlubiyyətlərinin ən acısı olacağını proqnozlaşdırır. Uduzacağı təqdirdə Theresa May-in B planı varmı? Hətta onun ən yaxın müttəfiqləri belə bunu bilmirlər. Onun bir neçə seçimi ola bilər: Brexit müqaviləsini parlament üçün daha cazibəli etmək məqsədilə Aİ ilə yenidən danışıqlar aparmaq, alternativ müqavilə ətrafında parlament üzvlərini birləşdirmək, parlamenti müqaviləsiz Brexit-lə və ya daha bir referendumla hədələmək, ya da ki, Brüsseldən Brexit prosesini yubatmağı xahiş etmək. Əsas müxalifət partiyasında nə baş verir? Brexit, Mühafizəkarlar partiyası ilə yanaşı əsas müxalifət partiyası olan Leyboristləri də parçalayıb. Partiyanın solçu lideri və ömür boyu \"avroskeptik\" olmuş Jeremy Corbyn indi Brexit tərəfdarları düşərgəsində yer alsa da, partiyanın əksər üzvü Brexit-i dayandırmaq üçün ikinci referendumun keçirilməsini istəyirlər. Leyborist deputatlar çərşənbə axşamı Theresa May-in müqaviləsinin əleyhinə səs vermək niyyətindədirlər, lakin martın 29-na qədər keçiriləcək gələcək parlament səsvermələrində onların nə edəcəyini indidən demək mümkün deyil. Brexit nə ilə bitəcək? Bunu heç kim bilmir. Referendumdan 2,5 ildən çox vaxt keçsə də, deputatlar referendumun nəticələrilə nə etmək məsələsində razılığa hələlik gələ bilmirlər. Məhz buna görədir ki, Britaniya hazırda 1945-ci ildən bəri ən dərin siyasi böhranını yaşayır. Bu da nəzərə alınmalıdır ki, heç nə baş verməsə, Britaniya Aİ-ni müqaviləsiz tərk etməlidir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40728014", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40725020", "doc1": "খুব শীগগরিই এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেবে ব্রিটেনের সরকার। এই ঘোষণার সাথে সাথে বায়ু দূষণ কমাতে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি তহবিল ঘোষণা করবেন মন্ত্রীরা যেখানে ডিজেল চালিত গাড়ির দূষণ ঠেকানোর জন্য ২২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া পরবর্তীতে বায়ু দূষণ ঠেকাতে কী কৌশল গ্রহণ করবে সেই পরিকল্পনার বিস্তারিতও ঘোষণা দেবে ব্রিটিশ সরকার। ওই ঘোষণায় বিশুদ্ধ বায়ু সংক্রান্ত কৌশল ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়ে যে সরকারের উৎসাহ রয়েছে সেটিও উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ব্রিটেনের আদালত দেশটিতে দূষণকারী গাড়ির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং বায়ুদূষণ ঠেকাতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তা জানাতে সরকারকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। আদালতের ওই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সরকার তাদের নতুন নীতির ঘোষণা দেবে বলে জানা যাচ্ছে। বায়ু দূষণ ঠেকানোর লক্ষ্যে এর আগে ব্রিটেন সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, বিচারকরা সেটিকে অপর্যাপ্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:", "doc2": "Ali Məhkəmə Böyük Britaniya hökumətinə \"təmiz hava strategiyası\"nı açıqlaması üçün 31 iyula qədər vaxt vermişdi Hökumət çirkli hava probleminə çarə tapmaq üçün 255 milyon sterlinq dəyərində bir fond yaratdığını da ictimaiyyətə bildirəcək. Bu fondun bələdiyyələrin ölkə daxilində çirkli hava ilə mübarizə aparmalarına kömək edəcəyi hədəfə alınıb. Böyük Britaniyada ekoloqlar bir qədər əvvəl hökumətin çirkli hava ilə mübarizə istiqamətindəki planlarını Avropa İttifaqı standartları ilə müqayisədə məqbul saymayaraq məsələni məhkəməyə təqdim etmişdi. Ölkədəki ümumi azot qazının nisbətinin yüksək olduğunu düşünən ekoloqlara haqq verən Ali Məhkəmə də hökumətə \"təmiz hava strategiyası\"nı açıqlaması üçün 31 iyula qədər vaxt vermişdi. Hökumətin açıqlayacağı tədbirləri ilkin mərhələdə \"ümid verici\" kimi səciyyələndirən ekoloqlar yenə də strategiya ilə bağlı daha ətraflı məlumat sahibi olmalarının lazım olduğunu söyləyirlər. \"İldə 40 min nəfərin erkən ölümünə səbəb olur\" Böyük Britaniyada çirkli havanın ildə təqribən 40 nəfərin erkən ölümünə səbəb olduğu ehtimal olunur. Ölkədə hələ də elektrik enerjisi ilə işləyən avtomobillərin ümumi satışlardakı payı bir faizdır. Fransa prezidenti Emmanuel Macron təqribən 3 həftə əvvəl 2040-cı ildən etibarən mədən yanacaqlarıyla işləyən bütün mühərrikli avtomobillərin satışını dayandıracağını açıqlamışdı. Almaniyanın BMW avtomobil şirkəti elektriklə işləyən avtomobil modeli Mini-nin 2019-cu ildən Böyük Britaniyada istehsal ediləcəyini bildirmişdi. İsveçin avtomobil nəhəngi Volvo da dünən 2019-cu ildən etibarən bütün yeni modellərində bir elektirk mühərrikinin olacağını qeyd edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43754667", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43725232", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তাতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাতে যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হবে সেগুলো যুদ্ধজাহাজ, জঙ্গিবিমান ও ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেসব যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে সেগুলো সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করবে এবং সেখান থেকেই হামলা চালাবে। অথবা ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হবে যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। রুশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে আনার পাশাপাশি যেসব জায়গা থেকে এসব নিক্ষেপ করা হবে সেগুলোকেও তারা ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু এই যুদ্ধে যেসব শক্তিধর দেশ অংশ নেবে বলে এখনও পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে তাদের কাছে কি ধরনের অস্ত্র আছে? রাশিয়া এবং সিরিয়া এর জবাব দিতে পারে কিভাবে? যুক্তরাষ্ট্র: প্রতিরক্ষা বাজেট- ৬০,০০০ কোটি ডলার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডোনাল্ড কুক ইতোমধ্যেই ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখান থেকে সিরিয়ার রাসায়নিক স্থাপনাগুলোতে ক্রুজ মিসাইল দিয়ে আঘাত করা হবে। এর ফলে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা এক বছর আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনির দুটো ডেস্ট্রয়ার থেকে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো। সেটা চালানো হয়েছিলো সিরিয়ার হম্স প্রদেশের শায়রাত বিমানঘাঁটিতে। ওয়াশিংটন বলেছে, এই বিমানঘাঁটি রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করে রাখার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক আক্রমণের মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে এসব রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত একটি শহরের উপরে। এই টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু দিক আছে- এটি খুব নিচ দিয়ে উড়ে যায় এবং এটিকে শনাক্ত করা কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি থেকে অল্প তাপ নির্গত হয় যার ফলে ইনফ্রারেড ডিটেকশনের মাধ্যমে এটি ধরা সম্ভব হয় না। টমাহক ক্রুজ মিসাইল যুদ্ধবিমান বহনকারী বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করছে মার্কিন নৌবাহিনি। তবে সেগুলোর এখনই সিরিয়ার আকাশসীমার ভেতরে ঢুকে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হচ্ছে কাতারে। সেখানে আছে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান, যা ওয়ার্টহগ নামেও পরিচিত। তুলনামূলকভাবে এগুলো খুব দ্রুত পরিচালনা করা সম্ভব। এফ- ১৬ খুব নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে পারে বলে এর সুখ্যাতি আছে। সারা বিশ্বে যতো সামরিক বিমান আছে তার মধ্যে এটিকে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ব্যবহার করা যায়। এর পাল্লা প্রায় ২,০০০ মাইল। এর ফলে অন্য যেকোন যুদ্ধবিমানের চেয়ে এটি বেশি সময় ধরে রণাঙ্গনে অবস্থান করতে পারে। আমেরিকার এছাড়াও আছে সাবসনিক বি-৫২ বোমারু বিমান। এই যুদ্ধবিমানটিকে ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে এর আগেও ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে উত্তর সিরিয়ার সাথে তুরস্কের সীমান্তে কুর্দীদের ছোট্ট একটি শহর কোবানেকে তাদের বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেখানে সামরিক ট্রান্সপোর্ট বিমান সি ১৩০ এবং সি ১৭ পরিচালনা করা হয়েছে, যাতে করে সৈন্য এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সি ১৭ সামরিক পরিবহন বিমান রাশিয়া: প্রতিরক্ষা বাজেট -৬,৯০০ কোটি ডলার রাশিয়া যে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন আক্রমণ প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে যে রাশিয়া কি তাদের উন্নত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করবে? এটি এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। রাশিয়ার একটি জেট বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর তারা বহুস্তরের এই বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেটি কাজ করেছে নিরোধক হিসেবে কিন্তু কখনো ব্যবহৃত হয়নি। রাশিয়ার ক্ষমতা এটি তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। করতে পারে খুব দ্রুত গতিতে ও নিখুঁতভাবে। ২৫০ মাইলের মধ্যে বিমান কিম্বা ক্ষেপণাস্ত্রকেও লক্ষ্য করতে পারে। এর সাহায্যে সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকাকেই হামলার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে কভারেজ দেওয়া সম্ভব। রাশিয়া বলছে, এই ব্যবস্থার সাহায্যে এর সাহায্যে তারা যেকোন যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম। কিভাবে কাজ করে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে এস ৪০০ প্রতিরোধী ব্যবস্থা থেকে কিভাবে কোন বস্তুকে চিহ্নিত করে, সম্ভাব্য ঝুঁকি যাচাই এর পর সেটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এটি একসাথে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একসাথে হামলা চালাতে পারে ৬টি বস্তুকে লক্ষ্য করেও। কিংস কলেজ লন্ডনে ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের ড. মার্টিন এস নাভিয়াস বলেছেন, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে যুদ্ধের কৌশল জটিল হয়ে পড়েছে। সাধারণত বিমান হামলা চালিয়ে কোন একটি দেশের ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়া হয় কিন্তু সিরিয়ার ভেতরে রাশিয়ার এই প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাধা হয়ে উঠতে পারে। এর পাল্লা সিরিয়ার আকাশসীমার বাইরেও বিস্তৃত। এর অর্থ হলো সিরিয়াকে লক্ষ্য করে কিছু নিক্ষেপ করা হলে সেটি সিরিয়ার ভেতরে আসার আগেই ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব। অনেক বিশ্লেষক এস-৪০০ প্রতিরোধী ব্যবস্থার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সিরিয়াতে রাশিয়ার আরো কয়েক ধরনের যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুখয় -২৪ বোমারু বিমান, সুখয়-২৫ যুদ্ধবিমান, বহু ভূমিকা পালন করতে পারে এরকম জঙ্গি বিমান, পরিবহন বিমান, গোয়েন্দা বিমান এবং হেলিকপ্টার গানশিপ। এসবের অনেকগুলোই আছে হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে। বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলার জন্যে এটিই রাশিয়ার প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শায়রাত ঘাঁটিও ব্যবহার করছে বলে খবরে বলা হচ্ছে। সেখান থেকে মিগ ২৪ এবং মিগ ৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার পরিচালনা করা হচ্ছে। রাশিয়ার হেলিকপ্টার গানশিপ ক্রেমলিন বলেছে, ভূমধ্যসাগরে রস্তভ-অন-ডন ডুবোজাহাজ থেকে তারা সিরিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এর আগে কালিবর ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। কাসপিয়ান সাগরের যুদ্ধজাহাজ থেকেও তারা রকেট ছুঁড়েছে যা কিনা সিরিয়াতে আই এসের উপর আঘাত হেনেছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে। রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়ার বন্দর শহর তারতুস থেকে তাদের রণতরী প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে জানা গেছে। ব্রিটেন: প্রতিরক্ষা বাজেট - ৫,০০০ কোটি ডলার বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সিরিয়ার যুদ্ধে সামরিক বিমান মোতায়েন করতে ব্রিটেন প্রস্তুত। এসবের মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধবিমান যা সাইপ্রাসে রাফ এক্রোতিরি ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এবং যেকোন সময় এসব বিমানকে যুদ্ধের জন্যে কাজে লাগানো যেতে পারে। ওই ঘাটিতে আছে ব্রিটেনের আটটি সুপারসনিক টর্নেডো যুদ্ধবিমান। ব্রিটেনের ক্ষমতা এগুলো নামানো হয়েছিলো ১৯৮২ সালে। সম্প্রতি এগুলোর সাথে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে সক্রিয় আছে রাফ টাইফুন যুদ্ধিবিমানও। গত কয়েক বছরের এসবের সাহায্যে ইরাকে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে। এর সাহায্যে লেজার নিয়ন্ত্রিত পেভওয়ে বোমা এবং ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিমান থেকে মাটিতে আঘাত হানার ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র রাডার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এগুলোর একটির ওজন ৪৯কেজি। ১ দশমিক ৮ মিটার লম্বা এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ডলার। মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটেনের মনুষ্যবিহীন বিমান আছে, আছে ১০টি রিপার ড্রোন। ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। রিপার ড্রোন ৫০,০০০ ফুট উপরে যেতে পারে এবং এর পাল্লা ১,১৫০ মাইল। এটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের আছে নজরদারি বিমান রিভেট। যেকোন ধরনের আবহাওয়ার মধ্যে এটি কাজ করতে পারে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। রিপার ড্রোন এমকিউ-৯ রিমোট দিয়ে ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভূমধ্যসাগরে ব্রিটেনের বর্তমানে কোন ডুবোজাহাজ নেই। এবং সেখানে এরকম সাবমেরিন পাঠাতে হলে সময়ও লাগবে। ফ্রান্স: প্রতিরক্ষা বাজেট - ৩৪০০ কোটি ডলার ফরাসী নৌবাহিনীর পরমাণু শক্তি পরিচালিত শার্ল দ্য গল এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ওই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সেটিতে বড় ধরনের মেরামতের কাজ চলছে। এই জাহাজের ওজন ৩৮,০০০ টন। এরকম জাহাজ ফ্রান্সের একটিই আছে। এটি বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বহন করতে পারে। বহন করতে পারে ১,৯০০ সৈন্যও। বর্তমানে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ইউএসএস জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশে তাদের সৈন্য মোতায়েন করেছে প্রশিক্ষণ ও যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্যে। ফ্রান্সের শার্ল দ্য গল রণতরী এছাড়াও ফ্রান্স জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমীরাতে তাদের বেশ কিছু মিরাজ ও রাফাল বিমান মোতায়েন করেছেন। সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তারা এটি ব্যবহার করেছে। এক একটি যুদ্ধবিমান ২৫০কেজি ওজনের লেজার নিয়ন্ত্রিত চারটি বোমা বহন করতে পারে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন, সাম্প্রতিক রাসায়নিক হামলার জেরে যদি সিরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় তাহলে তাতে সিরিয়ার সরকারের মিত্রদের উপর কোন হামলা পরিচালিত হবে না। হবে সিরিয়ার সরকারের রাসায়নিক ক্ষমতার উপর। তবে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা তিনি বলেন নি। সিরিয়া: প্রতিরক্ষা বাজেট- ২০০ কোটি ডলার ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।। তবে তারপরেও এটি যেকোন যুদ্ধবিমানের জন্যে হুমকি। কারণ এর ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র খুব দ্রুত যেকোন যুদ্ধবিমানকে আঘাত করে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারে। এই ব্যবস্থা একসময় ছিলো খুবই ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি থেকে এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। নেটো এটির নাম দিয়েছে এসএ-৫ গামন। তবে এটি সম্প্রতি আরো উন্নত করা হয়েছে। তাতে রাশিয়ার এসএ-২২ এবং এসএ-১৭ ধরনের অস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। সিরিয়ার কাছে রয়েছে রাশিয়ার এসএ-২২ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র একটি রাডার দিয়ে এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি ২১৭কেজি ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে। সিরিয়ার আছে চীনের সরবরাহ করা স্পর্শকাতর কিছু রাডার ব্যবস্থা। এরই মধ্যে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী শায়রাত বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করে নিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলো। এর আছে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ দুটো রানওয়ে। এক ডজনেরও বেশি হ্যাঙ্গার, ভবন ও মজুদ রাখার ব্যবস্থা। সিরিয়ান এয়ার ফোর্স সু ২২ এবং মিগ ২৩ এই ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। তবে বেশিরভাগ বিমানই পুরনো। এগুলো ব্যবহার করতে হলে বড়ো ধরনের মেরামত-কাজের প্রয়োজন।", "doc2": "ABŞ və Rusiya arasında münasibətlər Suriyaya görə gərginləşib. Bundan əvvəl yüksəkvəzifəli rusiyalı rəsmilər istənilən ABŞ zərbəsinə cavab veriləcəyi hədəsini səsləndirmişdilər. ABŞ prezidenti iddia edilən kimyəbi hücuma \"güclü\" cavabın veriləcəyini vəd etmişdi. Rusiya tərəfindən hərbi dəstək alan Suriya prezidenti Bəşər Əsədin höküməti sözüdən kimyəvi hücumda əli olduğunu inkar edir. Öz tvitində Trump Əsədi \"qazla öldürən heyvan\" adlandırıb. \"Rusiya Suriyaya atılacaq bütün raketləri vuracağına söz verib. Rusiya, hazır ol, çünki onlar gələcək və əla, sürətli və \"ağıllı\" olacaqlar. Siz öz xalqını qazla öldürən və bundan həzz alan heyvanla tərəfdaş olmamalısınız\", - ABŞ prezidenti yazıb. Təxminən 30 dəqiqədən sonra Donald Trump Twitter səhifəsində daha bir status yerləşdirib: \"Soyuq Müharibə də daxil, əvvəlki dövrlərlə müqayisədə Rusiya ilə münasibətlərimiz indi ən pis vəziyyətdədir. Bunun belə olması üçün bir səbəb yoxdur. Rusiyanın bizə ehtiyacı var ki, onun iqtisadiyyatına kömək edək, bunu etmək çox asandır, biz isə bütün dövlətlərlə birgə işləmək istəyirik. Silahlanma yarışını dayandıraqmı?\" Şənbə günü suriyalı müxalifət fəalları, xilasedici işçilər və həkimlər üsyançıların əlində olan və Şərqi Quta bölgəsində yerləşən Duma şəhərinin kimyəvi bombalardan istifadə edən hökümət qüvvələrinin hücumuna məruz qaldığını bildiriblər. Suriya-Amerika Tibbi Cəmiyyəti 500-dən çox insanın \"zəhərli kimyəvi maddənin təsirinə məruz qaldığını\" bildirib. Çərşənbə günü Dünya Səhiyyə Təşkilatı vəziyyəti qiymətləndirmək və 70 adamın həlak olduğu barədə yayılmış xəbərləri yoxlamaq üçün sözügedən əraziyə buraxılışın təmin olunmasını tələb edib. Hücum xəbərindən sonra prezident Trump və ABŞ Müdafiə naziri James Mattis səfər planlarını təxirə salıblar. ABŞ və onun Qərb müttəfiqləri birgə hərəkət edəcəklərini razılaşdırıblar. Rusiyanın bir neçə yüksəkvəzifəli nümayəndəsi ABŞınzərbələrinə cavab veriləcəyi barədə xəbərdarlıq edib. Moskvanın Livandakı səfiri Aleksandr Zasurkin çərşənbə axşamı təkrar edib ki, raketlər və həmin raketlərin buraxıldığı nöqtələr vurulacaq."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44049786", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international/2014/11/141118_north_korea_icc_probe", "doc1": "পালিয়ে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবার সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করে। মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা এবং এর আগে আসা আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা সরাসরি দেখে গেছেন জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলে সদস্যরা। তারা নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে গেছেন। যুক্তরাজ্যের অ্যাম্বাসেডর কারেন পিয়ের্স বলেছেন, পরিষদের সকল সকল সদস্যই মনে করেন, \"রোহিঙ্গা ইস্যুটি গত দশকের মধ্যে দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলোর একটি এবং অবশ্যই সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস ডিরেক্টর পরম প্রীত সিং বলেছেন, এবার সিকিউরিটি কাউন্সিল সদস্যরা সরাসরি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে শুনেছেন। যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। \"নির্যাতনের বিষয়ে মিয়ানমারের অব্যাহত-ভাবে এবং অকল্পনীয়-ভাবে অস্বীকার করে আসা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রমাণ করে এখন কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যায়বিচারের একমাত্র ভরসা,\" বলেন তিনি। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে? রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে রুল চেয়েছেন আইসিসি কৌঁসুলি রাখাইনে যৌন সহিংসতার কথা আইসিসিতে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে চারদিনের সফরে নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি সহ, দুই দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে আলাপ করেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম আইসিসিতে উত্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়ে ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর পিয়ের্স সাংবাদিকদের বলেন যে, অং সাং সু চি কাউন্সিল সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপযুক্ত প্রমাণ পেলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ \"যথাযথ তদন্ত\" করবে। যদিও রোহিঙ্গাদের ওপর সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্যাতনের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার দ্বারা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের পরও তারা নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি । একবছরের বেশি সময় দরে দেশটির সরকার সেখানে ইউএন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছেনা। হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টও দেশটির সরকার সেনাবাহিনী নাকচ করে দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলন। গত বছরের নভেম্বরে সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত দল জানায়, অন্তত ৩৭৬ \"সন্ত্রাসী\" সংঘাতের সময় নিহত হয়েছে কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হয়নি\"। যেখানে ২০১৭ সালের অগাস্টের সহিংসতার পর কোন বেসামরিক তদন্ত হয়নি, সেখানে রাখাইন রাজ্যের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন কমিশন (২০১৬ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে সংঘটিত সহিংসতার তদন্তে গঠিত) তাদের তদন্ত শেষে জানিয়ে দেয় ,\"মানবতা-বিরোধী কোন অপরাধ, জাতিগত নিধনের মত কোন ঘটনা ঘটে নি\"। রাখাইন স্টেটে কেবল একটি ঘটনায় মিয়ানমার সেনাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অগাস্টের ২৫ তারিখের পরে ইন ডিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় সাতজন সেনাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যে দুজন রয়টার্স সাংবাদিক ঘটনার অনুসন্ধান করেছিলেন তাদের আটক করা হয় এবং ১৪ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। হিউম্যান রাইটও ওয়াচ কর্মকর্তা সিং বলেন, নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের পরও তা নাকচ করে মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়ানক নির্যাতনের বিষয়ে তাদের শূন্য পর্যায়ের মনোযোগেরই পরিচয় দিচ্ছে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরষিদের উচিত নয় সরকারের নির্যাতনর তদন্ত করার বিষয়ে এই ফাঁকা আশ্বাসে নির্ভর করা। বিষয়টি আইসিসিতে পাঠানোর 'টেক্সটবুক কেস' হিসেবে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। আইসিসির রোম স্ট্যাচু অনুসারে কোনও দেশ ভয়াবহ অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে তদন্ত বা বিচার কাচে অনিচ্ছুক বা অপারগ হলে কেবলমাত্র তখন আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ মিয়ানমার যেহেুত আইসিসির অংশীদার নয় কিংবা এর জুরিসডিকশন গ্রহণ করছে না সেক্ষেত্রে সিকিউরিটি কাউন্সিলের বিষয়টি আইসিসিতে রেফার করা প্রয়োজন। এপ্রিল মাসে আইসিসিসি কৌসুলি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনার চেয়ে আপিল করেছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত কোর্টের রুলিং এর অপেক্ষায় না থেকে নিরাপত্তা পরিসদের উচিত দ্রুত মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই আদালতের কাছে তুলে ধরা। বুনো হাতির হামলায় ১২ জন শরণার্থী মারা গেছে বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে আলিবাবা: ই-কমার্সের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? অপরাধ আদালতে কি নেয়া যাবে মিয়ানমারকে? ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের যাদুকরী সমাধান নেই’- রুশ প্রতিনিধি 'রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে প্রত্যাশা বাড়াতে চাই না' কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমারের মন্ত্রী, রোহিঙ্গাদের ক্ষোভ", "doc2": "İnsan haqları komitəsində Pyongyang rejiminin insanlığa qarşı iddia olunan cinayətlərinin araşdırılması ilə bağlı vəsatət qəbul olunub. Bundan sonra Baş Assambleya vəsatət üzrə səsvermə keçirməlidir. BMT-nin fevralda buraxdığı hesabatda adi Şimali koreyalıların \"olmazın amansızlıqlarla\" üzləşdiyindən yazılıb. BMT Araşdırma Komissiyası işgəncə, siyasi repressiyalar və digər cinayətlər barədə şəhadət alandan sonra Şimali Koreyadakı irimiqyaslı pis rəftar barədə detalları açıqlayıb. Nəticədə çərşənbə axşamı icrası məcburi olmayan səsvermədə qətnaməni 111 ölkə dəstəkləyib, 19 ölkə əleyhinə səs verib, 55-i isə bitərəf qalıb. Təhlükəsizlik Şurasında veto qoymaq hüququna malik olan Çin və Rusiya qətnaməyə qarşı səs veriblər. Qətnamədə Şimali Koreya həmçinin insan haqları tarixçəsinə görə tənqid olunur, Təhlükəsizlik Şurası cinayətləri törədənlərə qarşı sanksiyalar tətbiq etməyə çağırılır. Hesabata sədrlik edən Michael Kirby bu addımı \"insan haqlarının müdafiəsində mühüm bir addım\" adlandırıb. Baş Assambleya bir neçə həftə ərzində vəsatət barədə səsvermə keçirəcək."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49348212", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region/2014/12/141210_iran_oil_rouhani", "doc1": "ইমরান খান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার পাকিস্তান-প্রশাসিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদে যান এবং সেখানকার আইন পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন বলে বিবিসির মনিটরিং বিভাগ জানাচ্ছে। \"নরেন্দ্র মোদী কৌশলগতভাবে ভুল করেছেন। তিনি তার শেষ কার্ডটি আগেই খেলে ফেলেছেন। তারা এখন কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে,\" মি. খান তার ভাষণে বলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া অনুচ্ছেদ ৩৭০'র বিলোপ এবং ঐ রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে কাশ্মীরের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বর্ণনা করে মি. খান ভারতের তরফে, তার ভাষায়, যে কোন দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানান। পাকিস্তানের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এপিপি খবর দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী খান তার ভাষণে কাশ্মীরের আইন পরিষদকে জানিয়েছেন যে ভারত আজাদ কাশ্মীরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। ভারতের তরফে যে কোন হুমকি মোকাবেলার জন্য পাকিস্তানের সরকার এবং সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে ইমরান খান আইন পরিষদকে জানান। আজাদ কাশ্মীরের আইন পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন ইমরান খান। আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীরে বিক্ষোভের ঘটনা স্বীকার করলো ভারত সরকার সৌদি আরবে নির্যাতন করা হয়নি বললে তবেই মুক্তি? কেনিয়ার যে নাচের পার্টিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ পাকিস্তানে 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' অন্যান্য বছরের তুলনায় পাকিস্তান এবার তার স্বাধীনতা দিবসকে ভিন্নভাবে উদযাপন করছে। এই দিনটিকে তারা 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' হিসেবে পালন করছে। এই উপলক্ষে সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি লোগো প্রকাশ করা হয়েছে যাতে লেখা হয়েছে 'কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান' অর্থাৎ কাশ্মীর হবে পাকিস্তান। সে দেশের প্রধান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও তাদের পর্দায় এই লোগো ব্যবহার করছে। এবারের ঈদ এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে না বলে বিবিসির উর্দু বিভাগ জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ই অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে পাকিস্তান কালো দিবস হিসেবে পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় সরকারি বেসরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।", "doc2": "Həsən Ruhani deyib ki, neft bazarlarında baş verənlər Yaxın Şərq və bütövlükdə İslam dünyası əleyhinə yönələn addımdır. BBC müxbiri xəbər verir ki, dünya bazarlarında neftin ucuzlaşması nəticəsində enerjidaşıyıcıları ixracından asılı olan İran iqtisadiyyatına ziyan dəyib. Tehran, qiymətləri qaldırmaq üçün OPEK təşkilatından hasilatın azalmasını tələb edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53378960", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-53300863", "doc1": "''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,'' বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেখানে তিনি আহত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ''আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে, কিন্তু আমার মতে, সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গা রয়েছে,''হোয়াইট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গও করেছেন। তবে শনিবার তিনি বলেছেন, ''আমি মনে করি, যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এরকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক এবং মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো একটা ব্যাপার।'' গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, ''আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।'' তিনি আরও যোগ করেন যে, মাস্ক পরলেও তাকে দেখতে অনেকটা 'লোন রেঞ্জারের' মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছেন আমেরিকান কল্পকাহিনীর একজন নায়ক, যিনি তার আদিবাসী আমেরিকান বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিমা আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। তবে গত এপ্রিল মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য সবার জন্য জনসম্মুখে মাস্ক পরার সুপারিশ করে, মি. ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি সেটা করবেন না। ''আমি এটা করবো বলে মনে হয় না,'' তিনি তখন বলেছিলেন। ''মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক, রাজা, রানীদের স্বাগত জানাচ্ছি- এমনটা দেখা যাবে বলে আমি মনে করি না।'' গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তাঁর সহকারীরা। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ লুইজিয়ানা রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে ইন্ডিয়ানা রাজ্যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে কারণ তার স্বজনরা জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে তাকে শেষ দেখার জন্য তারা আসতে পারছেন না। ড্যানিয়েল লি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ সোমবার কার্যকর করার কথা ছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Düşünürəm ki, maska taxmaq əladır\", - prezident Ttrump deyib Donald Trump Washington yaxınlığındakı Walter Reed hərbi xəstəxanasına baş çəkib və orada yaralı əsgərlər və xəstəxananın işçi heyəti ilə görüşüb. \"Mən heç vaxt maska taxmağa qarşı olmamışam, amma hesab edirəm ki, bunun vaxtı və yeri uyğun olmalıdır\", - Ağ Evi tərk edərkən prezident Trump deyib. Trump bundan əvvəl maska taxmayacağını söyləmişdi və bunu etdiyi üçün Demokratik partiyadan prezident seçkilərində rəqibi olacaq Joe Biden-ə lağ etmişdi. Lakin şənbə günü Trump deyib: \"Düşünürəm ki, xəstəxanada olduğunuz zaman, o cümlədən, bəzi hallarda əməliyyat masasını təzə tərk etmiş bir çox əsgər və insanla söhbət etdiyiniz bu cür xüsusi bir yerdə olarkən, maska taxmaq əladır\". Prezident Trump-ın maska taxmaq məsələsi barədə fikrinin dəyişməsi ABŞ-da koronavirusa gündəlik yoluxma hallarının sayında şənbə günü yeni rekord göstərici olan 66528 hadisə qeydə alındığı dövrə təsadüf edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54883415", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-55009188", "doc1": "ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ের পর চুক্তি হলো আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ চুক্তিকে তার এবং তার জনগণের জন্য 'খুবই বেদনাদায়ক' বলে আখ্যায়িত করেছেন। আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায় ছয় সপ্তাহ লড়াইয়ের পর এ চুক্তি হলো। অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সে বছর একটি যুদ্ধবিরতি হলেও কোনো চুক্তি ছিলো না। সেপ্টেম্বরে লড়াই শুরুর পর থেকে অনেকবার অস্ত্রবিরতি হলেও সেগুলো সব ব্যর্থই হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: নাগোর্নো-কারাবাখে গিয়ে যা দেখেছে বিবিসি বন্দী 'হত্যা'র ভিডিও প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধের তদন্ত দাবি আর্মেনিয়ার নাগোর্নো-কারাবাখ: যেখানে যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে তুর্কী ড্রোন আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলো সমঝোতা হলো কি নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে শান্তি চুক্তিটি। নতুন চুক্তির আওতায় আজারবাইজানের হাতেই থাকবে নাগোর্নো কারাবাখ। আর্মেনিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিকটবর্তী আরও কিছু এলাকা থেকে সরে যাবে। অনলাইনে এক টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা ফ্রন্টলাইনে টহল দেবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে ১ হাজার ৯৬০ জনকে তারা মোতায়েন করবে। শান্তিরক্ষা প্রক্রিয়ায় তুরস্কও অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহ্যাম আলিয়েফ। মিস্টার আলিয়েফ অনলাইনে ভাষণের সময় ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ছিলেন। মিস্টার পুতিন বলেছেন, সমঝোতার আওতায় বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং একই সাথে সব অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ সংযোগে উন্মুক্ত হবে। চুক্তির বিরোধিতা করে আর্মেনিয়ার রাজধানীতে বিক্ষোভ কী ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট আলিয়েফ বলেছেন সমঝোতাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং আর্মেনিয়া তা মেনে নিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান বলছেন তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং সেরা বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। \"এটা কোনো বিজয় নয় কিন্তু নিজেকে পরাজিত না ভাবলে এখানে কোনো পরাজয় নেই,\" মিস্টার পাশিনিয়ান বলছিলেন। নাগোর্নো কারাবাখে আর্মেনিয়ান নেতা আরাইখ হারুতুনিয়ান বলেছেন দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে তিনি তার সম্মতি দিয়েছেন। তবে আর্মেনিয়ার রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়ে এ চুক্তির বিরোধিতা করেছে। তারা এ সময় পার্লামেন্ট ও সরকারি ভবনে ভাংচুর করেছে। প্রায় দেড় মাস আগে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে পাহাড়ের ওপর গড়ে উঠেছে শুষা শহর। এর ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক যুক্ত হয়েছে আর্মেনিয়ার সঙ্গে।", "doc2": "Papravənd kəndində od vurulan ev Bu razılaşmaya uyğun olaraq, Ağdam rayonu Azərbaycana qaytarılıb. Ərazi üzərində nəzarət Azərbaycana keçənə qədər erməni hərbçiləri ilə mülkilər şəhəri tərk edib. Bu arada bəzi tikililərə od vurulub. BBC News Azərbaycanca bu anları əks etdirən görüntüləri bir araya gətirib. Hərbi yük maşını ilə Ağdamı tərk edən erməni əsgərləri. Bu ərazilər 1993-cü ildən bəri erməni qüvvələrinin işğalı altında qalıb AFP müxbiri bu mənzərəni Əsgəran yaxınlığında qurulan Rusiya sülhməramlıların yeni yaratdığı nəzarət məntəqəsində müşahidə edib Qadın 1993-cü ildə işğal olunmuş Ağdamın Papravənd (Nor Karmiravan) kəndini tərk edərkən əşyalarını maşına yükləyir Ağdam şəhərində hərbi qərargahı tərk edən erməni hərbçiləri maşına qutuları yükləyirlər Papravənd kəndi yaxınlığında camış sürüsünü yolun kənarına qovan erməni mülkisi Əşyalarla dolu yük maşını Papravəndi tərk edir Papravənd kəndində od vurulub yandırılan evləri görmək olar"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41366670", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41325431", "doc1": "এক বিবৃতিতে মি: কিম বলেন, \"জাতিসংঘে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসের জুমকি দিয়েছেন , সে ভাষণের জন্য তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে\"। ওই বিবৃতিতে মি: ট্রাম্পকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও উল্লেখ করেন কিম জং উন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটারে কিমকে 'ম্যাডম্যান' বা 'উন্মাদ ব্যক্তি' বলে মন্তব্য করেছেন। মি: ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লিখেছেন \"উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন যে সত্যিকার অর্থেই একজন উন্মাদ ব্যক্তি, যে আসলে তার দেশের মানুষকে হত্যা করা বা তার মানুষ না খেয়ে মরছে তা মোটেও পরোয়া করে না। সে এমনভাবে তার কর্মের স্বাদ ভোগ করবে যেমনটা আগে কখনোই হয়নি\"। এর আগে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে মি: ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি আমেরিকাকে নিজেদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য করা হয় তবে তারা উত্তর কোরিয়াকে 'সম্পূর্ণ ধ্বংস' করে দেবে। তিনি কিমকে 'আত্মঘাতী মিশনে থাকা রকেট ম্যান' বলেও ব্যঙ্গ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই নেতা বেশ বাকযুদ্ধে মেতেছেন, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করছেন। নিজের বিবৃতির শেষে মি: কিম মি: ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন \"আগুনের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতভাবে এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভীমরতিগ্রস্ত এই বৃদ্ধকে আমার হাতের মুঠোয় আনবো।\" দুই নেতার এই বাকযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে \"পরিস্থিতি জটিল ও সংবেদনশীল' হয়ে উঠেছে। \"একে অপরকে হুমকি না দিয়ে প্রত্যেকের উচিত সংযমের মধ্যে থেকে আচরণ করা\" বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র। রাশিয়াও আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেছেন, \"দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা চরমে উঠছে তাতে মস্কো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে\"। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ৩ মাইল লম্বা বিয়ের শাড়ি পরে বিতর্কের মুখে দম্পতি নারীদের বোকা বলে নিষিদ্ধ হলেন সৌদি ইমাম রোহিঙ্গা শিশুদের ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ রোহিঙ্গাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস পরীক্ষার চিন্তা", "doc2": "Şimali Koreya dövlət mediası vasitəsilə yayılmış şəxsi bəyanatında, Kim Jong-un deyib ki, BMT-də etdiyi çıxışı Donald Trump-a baha başa gələcək. Dövlət mediası vasitəsilə yayılmış şəxsi bəyanatında, Kim Jong-un deyib ki, BMT-də etdiyi çıxışı Donald Trump-a baha başa gələcək. Çərşənbə axşamı ABŞ prezidenti bildirib ki, Amerika özünü müdafiə etməyə məcbur edilsə, Şimali Koreyanı \"tamamilə məhv edəcək\". Trump, çıxışında Kimi lağa qoyaraq, onu \"intiharçı missiyasına\" çıxan \"raket insan\" adlandırıb. İki ölkə arasında düşmənçilik ritorikası son aylar ərzində güclənməkdədir. Şimali Koreya misli görünməmiş sayda raket sınağı keçirir və beynəlxalq qınağa baxmayaraq 6-cı nüvə sınağını keçirib. Şimali Koreyanın Xarici İşlər naziri Ri Young-ho bundan əvvəl Trump-ın nitqini \"hürən itin səsinə\" bənzədərək, xəbərdarlıq etmişdi ki, Pxenyan ABŞ prezidentinin hədələrinə cavab olaraq Sakit Okeanda hidrogen bombasının sınağını keçirə bilər. \"Bu, Sakit Okeanda hidrogen bombasının ən güclü detonasiyası ola bilər\", - Ri Young-ho bildirib. Onun sözlərini Cənubi Koreyanın Yonhap xəbər agentliyi iqtibas gətirib. \"Biz bilmirik bu nə ola bilər, çünki qərarı Kim Jong-un özü verəcək\", Ri Young-ho əlavə edib"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40354896", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-40355949", "doc1": "সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে সংস্কার পরিকল্পনা রয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারকে দেশের বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে আজ বুধবারই সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান। মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান। রাজধানী রিয়াদের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর বিভিন্ন রাষ্ট্র সংস্থায় কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে তাঁর বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ বিন সালমান। সেই সময়ে রিয়াদের গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ২০১৩ সালে যখন মোহাম্মদ বিন সালমানকে যখন মন্ত্রীর মর্যাদাসহ সৌদি রয়্যাল কোর্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তখন থেকেই ক্ষমতায় তার উত্থান শুরু হয়। সৎ ভাই বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বাদশাহ হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন বর্তমান বাদশাহ সালমান, তখন তার বয়স ছিল ৭৯ বছর। তখনই ক্ষমতায় এসে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাদশাহ সালমান, যা বিশ্লেষকদের কিছুটা অবাকও করেছিল। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ক্ষমতায় এসে বাদশাহ সালমান তাঁর ছেলেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরুর পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। যদিও দু বছর ধরে চলা এই লড়াইয়ে অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে। বরং সৌদি আরব ও মিত্র জোটের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উঠেছে এবং আরব বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে মানব সংকট তৈরির জন্যও তাদের দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেই বাদশাহ সালমানের আরেক দফা রদবদলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে অবাক করে, ওই মাসে তিনি তাঁর ছেলেকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন এবং তাঁর ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন। ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হলেও মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের তেল নীতি বাস্তবায়ন ও ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক এই দেশের বিপুল প্রতিরক্ষা বাজেটও ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্যও তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। তিনি অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাবও আনেন। এমনকি তেলখাতে ভর্তুকি কাঁটছাঁটের কথা উল্লেখ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি 'সৌদি আরামকো'র কিছু অংশ বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে একটি সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল তৈরির পরিকল্পনাও দেন তিনি। এছাড়া বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবেও বেশ কয়েকটি দেশে সফর করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বেইজিং, মস্কোসহ ওয়াশিংটনেও গিয়েছেন তিনি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের রাজনীতিতে মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি দ্রুত উত্থান বেশ চমক সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদ বিন সালমানকে আজ ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করার পর সৌদি বাদশাহ নতুন যুবরাজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নতুন যুবরাজ ঘোষণার মাধ্যমে সৌদি আরবের ক্ষমতা কাঠামোতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনলেন বাদশাহ সালমান। কারণ সৌদি আরবে যুবরাজই দেশটির সর্বোচ্চ পদটির উত্তরসুরী। ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজ পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ বানালেন বাদশাহ। মাত্র ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান একই সাথে উপপ্রধানমন্ত্রী হবেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সৌদি রাজতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন বাদশাহ নিজ ছেলেকে যুবরাজ বানালেন। বর্তমান বাদশাহ'র পর যুবরাজই পরবর্তীতে দেশটির বাদশাহ হবেন। আরো পড়ুন: আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়? কাতার সংকটে যেভাবে শাস্তি পাবে গাজায় ফিলিস্তিনিরা সাদ্দামের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে মার্কিন সৈন্যরা", "doc2": "Şahzadə Məhəmməd sosial və iqtisadi dəyişikliklərlə bağlı geniş miqyaslı plan hazırlayəb Lakin, həmin ildən bəri 31 yaşlı şahzadə dünyanın aparıcı neft ixracatçı ölkəsinin ən nüfuzlu simasına çevrilib. O, artıq əmisi oğlu Məhəmməd ibn Naifi əvəzləyərək vəliəhd şahzadə zirvəsinə yüksəlib. Bu gözlənilən addım görünür ki, ölkənin istiqamətini dəyişmək iqtidarındadır. Məhəmməd ibn Salman 1985-ci il avqustun 31-i doğulub. Onu atası Salman ibn Abdul, Əziz əl Saudun üçüncü arvadı Fəhdah bint Fələh ibn Sultandan doğulan ilk şahzadə idi. Paytaxt Riyadda yerləşən Kral Saud Universitetində bakalavr dərəcəsi aldıqdan sonra o, bir neçə dövlət orqanında işləyib. 2009-cu ildə Məhəmməd Riyadın qubernatoru olarkən atasının xüsusi müşaviri təyin olunur. Məhəmməd ibn Salmanın hakimiyyətə gedən yolu 2013-cü ildə Vəliəhd Şahzadə Məhkəməsinə nazir dərəcəsi ilə rəhbər təyin olunması ilə başlayır. Bundan əvvəlki il Salman, Məhəmməd ibn Nayifin atası Nayif ibn Abdul Əzizin ölümü ilə varis şahzadə elan olunmuşdu. Kral Salman 2015-ci ildə vərəsəliklə bağlı ciddi dəyişiklik edib 2015-ci ilin yanvarında Kral Abdulla ibn Abdul Əziz ölür və 79 yaşlı Salman taxta çıxır. O, dərhal təəccüb doğuran iki qərar qəbul edir: oğlunu Müdafiə naziri və Məhəmməd ibn Nayifi varis şahzadənin müavini təyin edir. Məhəmməd ibn Nayif krallığın banisi İbn Saudun ilk oğul nəvəsidir. Məhəmməd ibn Salman Müdafiə naziri kimi ilk olaraq digər ərəb dövlətləri ilə birgə 2015-ci ilin martında Yəmənə qarşı hərbi kampaniyaya başlayır. Kampaniya ötən iki il ərzində cüzi inkişaf keçə bilib. Buna səbəb isə Səudiyyə Ərəbistanı və müttəfiqlərinin insan haqları pozuntuları ilə bağlı tənqid olunması və ərəb dünyasının ən kasıb ölkəsində humanitar böhranın başlamasına təkan verməsidir. Şahzadə Məhəmməd Vision 2030 planını təqdim edir 2015-ci ilin aprelində kral Salman varislik ilə bağlı daha bir qeyri-adi addım ataraq Məhəmməd ibn Nayifi vəliəhd şahzadə və oğlunu vəliəhd şahzadənin müavini, baş nazirin ikinci müavini və İqtisadi və İnkişaf İşləri Şurasının prezidenti təyin edir. Həmin zamandan bəri şahzadə Məhəmməd ibn Salman neftlə zəngin krallığın böyük sosial və iqtisadi dəyişikliklər ilə bağlı geniş miqyaslı planı olan Vision 2030-u təqdim edib. O həmçinin, ölkənin subsidiyalarını azaltmaq və dövlət neft şirkəti Səudi Aramco-n özəlləşdirilməsini təklif edib. Eləcə də Məhəmməd ibn Salman, Pekin, Moskva və Washington səfərləri zamanı kral Salmanı xaricdə təmsil edib. Qeyd edək ki, mart ayında Washingtona səfəri əsnasında o, prezident Donald Trump ilə görüşüb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48745068", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-48690151", "doc1": "ইস্তাম্বুলে সমর্থকদের সঙ্গে উল্লাস করছেন ইক্রেম ইমামোগলু বেশিরভাগ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, প্রধান ক্ষমতাসীন দল ইক্রেম ইমামোগলু ৭ লাখ ৭৫ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অথচ এর আগের নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৩ হাজার। একে পার্টি অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর মার্চ মাসের ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হয়। এই ফলাফলের মাধ্যমে ইস্তাম্বুলে একেপির ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো। একেপির প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান টুইটারে লিখেছেন, ''আমি ইক্রেম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যে,প্রাথমিক ফলাফলে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।'' এর আগে মি. এরদোয়ান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, 'ইস্তাম্বুলে যে বিজয়ী হবে, সেই হবে তুরস্কের বিজয়ী।' আরো পড়ুন: 'রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিলে মার্কিন এফ-৩৫ পাবে না তুরস্ক' এরদোয়ান কেন ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভিডিও দেখাচ্ছেন সুদান নিয়ে রিয়াদ, কায়রো, আঙ্কারা ও মস্কোর কেন এই আগ্রহ খাসোগির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক শহরের জন্য এই বিজয় নতুন সূচনা বলে বর্ণনা করেছেন ইক্রেম ইমামোগলু ২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুরস্ক শাসন করছেন মি. এরদোয়ান। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা কামাল আতার্তুকের পরে তাকেই সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসন বলে মনে করা হয়। বিজয় বক্তৃতায় রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা মি. ইমামোগলু বলেছেন, এটা তার শহর এবং দেশের জন্য নতুন সূচনা। কারণ তার সমর্থকরা গণতন্ত্রকে ঠিকঠাক করে দেবেন। তিনি বলেছেন, ''আমরা ইস্তাম্বুলে নতুন একটি পাতা খুলছি। এই নতুন পাতায় থাকবে ন্যায়বিচার, সমতা আর ভালোবাসা।'' তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন। ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, মি. ইমামোগলু ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন আর মি. ইলড্রিম পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ। ৪৯ বছরের ইমামোগলু ইস্তানবুলের বেলিকডুযু জেলার মেয়র ছিলেন, তবে মার্চের নির্বাচনের আগে তার নাম খুব কম মানুষই জানতো। অন্যদিকে মি.ইলড্রিম একেপির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যখন তুরস্ক প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন সংসদে স্পিকার হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম ইস্তাম্বুল কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? এটি হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর। এখানে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বসবাস করে, যেখানে পুরো তুরস্কের জনসংখ্যা মাত্র আট কোটি। ইস্তাম্বুল দেশটির প্রধান ব্যবসা কেন্দ্রও। মি. এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান শুরু হয়েছিল এই শহর দিয়ে, যখন প্রায় পঁচিশ বছর আগে এই শহরের নিয়ন্ত্রণে আসে একেপি। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মি. এরদোয়ান। তুরস্কের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের যোগান দেয় ইস্তানবুল। এমনকি মি. এর্দোয়ানের শৈশবের জেলা বেয়োগলুতেও জয় পেয়েছেন মি.ইমামোগলু। এখন ইস্তাম্বুল, ইযমির আর আঙ্কারা, সবগুলো বড় শহরই বিরোধী শিবিরের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলো। অনেকে মনে করছেন, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের যুগের সমাপ্তিপর্ব শুরু হলো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কুলাউড়া ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জাপানী শিবিরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বন্দীদের ভয়াবহ জীবন", "doc2": "Bu qələbə prezident Recep Tayyip Erdoğana ağır zərbə hesab olunur. \"Biz İstanbulda yeni səhifə açırıq\", Ekrem İmamoğlu deyib. \"Bu yeni səhifədə ədalət, bərabərlik, sevgi olacaq\", o qələbə çıxışında bəyan edib. İstanbulda keçirilən seçkilərin 23 iyun axşamı açıqlanmış ilkin nəticələrinə görə, CHP namizədi Ekrem İmamoğlu və AKP namizədi Binali Yıldırım arasındakı səs fərqi 700 mindən çoxdur. Ekremoğlunun tərəfdarları onun qələbəsini bayram edir Türkiyə Prezidenti Recep Tayyip Erdoğan Twitter hesabında Ekrem İmamoğlunu təbrik edib. Bundan öncə isə o demişdi ki, \"İstanbulu qazanan Türkiyəni qazanmış olur\". CHP lideri Kemal Kılıçdaroğlu deyib ki, \"artıq CHP 82 milyonun partiyasıdır\". \"CHP kimliyindən, inancından və həyat tərzindən ötəri heç kimi özgələşdirməyəcək. Hər kəsin inancına hörmət etmək lazımdır. Biz birlikdə sülh içində yaşamaq istəyirik. Biz heç bir uşağın ac qalmadığı bir ölkə istəyirik. Biz kişi və qadınlar arasında bərabərlik üçün mübarizə aparırıq. Hər evdə qazanın qaynadığı bir Türkiyə istəyirik. Türkiyə daxilində dinc və sülh içində olan bir Türkiyə inşa etmək istəyirik\", o deyib. HDP həmsədri Sezai Temelli də Ekrem İmamoğlunu təbrik edib. İstanbulda bazar günü şəhər meri seçkisi çərçivəsində təkrar səsvermə keçirilib. Martın 31-də keçirilmiş səsvermənin nəticələri AKP namizədi Binali Yıldırımın verdiyi etiraza baxıldıqdan sonra Türkiyənin mərkəzi seçki qurumu tərəfindən ləğv edilmişdi və iyunun 23-də təkrar səsvermə keçirmək qərarı qəbul olunmuşdu. CHP-nin namizədi Ekrem İmamoğluya verilən səslər martın 31-də keçirilmiş seçkiyə nisbətən bu günkü seçkidə artıb, cənab İmamoğlu 28 rayonda irəlidədir. AKP namizədi Binali Yıldırım isə 11 rayonda irəlidədir. Bu rayonlar Arnavutköy, Bağçılar, Başakşehir, Esenler, Gaziosmanpaşa, Güngören, Kağıthane, Pendik, Sultanbeyli, Sultangazi və Ümraniyedir. Cənab İmamoğlu 31 martda səsvermədə geridə olduğu 12 rayonda, Bahçelievler, Bayrampaşa, Beykoz, Beyoğlu, Çekmeköy, Eyüpsultan, Fatih, Gaziosmanpaşa, Sancaktepe, Şile, Tuzla ve Üsküdarda indi liderlik edir. İlkin nəticələr açıqlandıqdan sonra, Binali Yıldırım Ekrem İmamoğlunu təbrik edib. Ekrem İmamoğlu səsvermənin ilkin nəticələrindən sonra açıqlama verib. \"Biz Türkiyədə demokratiya saatının mükəmməl işləməyinin tərəfdarıyıq. Təəssüf ki, bu, 31 mart axşamı işləməmişdi. Millətimiz baş verən hər şeyi bilir. Anaq saatı dayandırmaqla vaxtı da dayandıra bilməzsiz.Bu gün seçki qutularından səs bülletenlərilə yanaşı hesab bülletenlərinin də çıxdığını demək istəyirəm. Vətəndaşlar baş vermiş böyük ədalətsizliklə hesablaşıblar. Bu, bir səhifənin bağlanması, digərinin açılması demək deyil, hər kəsin yeni və ümumi bir səhifə açması, yeni bir başlanğıc deməkdir\", o bildirib. Cənab İmamoğlu \"heç kimi ayırmadan, özgələşdirmədən\" çalışacağını da qeyd edib. \"İnsanlar mənə yoxsulluqla mübarizə, yaşıl sahələrin və ucuz nəqliyyatın üçün səfərbərlik başlatmaq kimi müqəddəs bir missiya verdi. Bu ən şərəfli bir vəzifədir. Bu vəzifəni lazımınca yerinə yetirməkdən başqa bir prioritetim yoxdur\", o deyib. 23 iyun seçkisində iştirak edən namizədlər bunlar olub: 31 mart səsverməsində iştirak edən seçicilərin sayı 10 milyon 560 min 963 nəfər təşkil edib. Bu gün İstanbulda səsvermə məntəqələri Türkiyə vaxtı ilə saat 08:00-da ( 09:00 Bakı vaxtilə) açılıb və yerli vaxtla 17:00-dək işləyib. Səsvermənin ilk nəticələrinin yerli vaxtla 18:00-dan sonra açıqlanması gözlənilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49245865", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41276840", "doc1": "সাম্প্রতিক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া তবে মিসাইলগুলো কী ধরণের- তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ হুয়াংহে অঞ্চল থেকে উপদ্বীপ পার করে পূর্বে সমুদ্রের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয় মিসাইলগুলো। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা করছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সোমবার শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়। আরো পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে' উত্তর কোরিয়ার ভেতরে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রকে 'ছোট' বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব কি নতুন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার মুখে? যৌথ সামরিক মহড়ায় সোলের দক্ষিণের একটি মার্কিন ঘাঁটি থেকে হেলিকপ্টার অংশ নেয় মূল মহড়া ১১ই অগাস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ছোট পরিসরে মহড়া চলছে। উত্তর কোরিয়া এর আগে দাবি করেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন করে এই সামরিক মহড়া। মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে 'কূটকৌশলের মাধ্যমে' দু'দেশের সামরিক মহড়াকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দু'দেশের 'আগ্রাসী চরিত্র' লুকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া আলোচনার সমঝোতার 'সরাসরি অস্বীকৃতি এবং ঘোরতর লঙ্ঘন' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করা হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে সতর্কবার্তা দেয়া হয় যে, \"আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার সতর্ক করেছি যে, উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে। এর ফলে আগে আমরা যেসব বড় পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলোও পুনর্বিবেচনা করার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।\" পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরের জন্য বিশেষ আইন কেন বিতর্কিত? মুসলিম-প্রধান কাশ্মীরের চরিত্র বদলানোই মূল লক্ষ্য? 'থানার বাইরেই ভাইয়ের কান্না শুনতে পাইতেছিলাম' ডেঙ্গু: কখন রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়? জুন মাসে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক মিসাইল পরীক্ষাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া যেসব মিসাইল পরীক্ষা করেছে সেগুলো ছোট পরিসরের ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা ৩৭ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া যেসব মিসাইল পরীক্ষা করেছে তা নতুন ধরণের ছোট পরিসরের মিসাইল। গত শুক্রবার দু'টি মিসাইল জাপান সাগরে নিক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যুগ্ম প্রধান। তিনি বলেছেন, মিসাইলগুলো অনেক নীচ দিয়ে ভ্রমণ করেছে এবং প্রায় ২২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। বিশ্লেষকদের মতে, ঐ মিসাইলগুলো অতিরিক্ত দ্রুতগতিতে ভ্রমণ করেছে। বুধবার উত্তর কোরিয়া দু'টি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে যেগুলো ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জাপান সাগরে পড়ে। ২৫শে জুলাই উত্তর কোরিয়া আরো দু'টি মিসাইল নিক্ষেপ করে যেগুলোর একটি ৬৯০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের জুন মাসের সাক্ষাতের পর ২৫শে জুলাই প্রথম মিসাইল পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। জুন মাসের সাক্ষাতে দুই নেতা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম বন্ধের আলোচনা নতুন করে শুরু করার বিষয়ে একমত হন। উত্তর কোরিয়া কেন খরার খবর লুকাচ্ছে", "doc2": "Cənubi Koreya hərbçiləri bildirib ki, raket təxminən 770 kilometr yüksəklikdə uçaraq və 3700 kilometr məsafə qət edərək Hokkaido adasının yaxınlığında dənizə düşüb. Yaponiyanın Baş naziri Shinzo Abe bəyan edib ki, onun ölkəsi Şimali Koreyanın təhlükəli hərəkətlərinə \"heç vaxt\" tolerant yanaşmayacaq. \"Əgər Şimali Koreya bu yolla getməyə davam edərsə, onun gələcəyi parlaq deyil,\" o, bəyanatında bildirib. \"Əgər Şimali Koreya bu yolla getməyə davam edərsə, onun gələcəyi parlaq deyil\", Baş nazir Shinzo Abe bildirib ABŞ Dövlət Katibi Rex Tillerson, BMT sanksiyalarını pozan raket buraxılışını tənqid edib. O, buna görə nüvə silahına malik Şimali Koreyanın əsas iqtisadi tərəfdaşlarını - Çin və Rusiyanı ittiham edib. \"Çin neftinin əksəriyyətini Şimali Koreyaya satır, Rusiya Şimali Koreyanın məcburi əməkçilərinin ən böyük işəgötürənidir,\" o bildirib. Cənubi Koreyanın prezident Moon Jae-in milli təhlükəsizlik şurasının fövqəladə iclası keçirilib və raket sınağının Şimali Koreya üçün əlavə diplomatik və iqtisadi təcridi demək olduğunu bildirib. Cənubi Koreya hərbiyyəsi bildirib ki, sanksiyalardan sonra ilk olan bu raket buraxılışı yerli vaxtla səhər saat 7-də (Bakı vaxtilə saat 01:00-da) Pxenyanın Sunan aerodromdan atılıb. Məlumata görə, raket Yaponiyanın şimalındakı Hokkaido adasının üzərindən uçaraq Sakit Okeana düşüb. Hadisədən dərhal sonra ada sakinlərinə gizlənmək barədə səsli və yazılı mesajla xəbərdarlıq edilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40887889", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41377966", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার হুমকি, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালাবে, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। এ সবকিছুই ঘটছে যখন উত্তর কোরিয়া এমন একপ্রকার পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সফল হয়েছে, যা আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা যাবে। ফলে পুরো বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্রদের। একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যাবার সম্ভাবনা কতটা? কতটা বিপদ অপেক্ষা করছে সামনে? আরো পড়তে পারেন: 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা' ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'রিফিউজি' থেকে ভারতীয় হয়ে ওঠার ৭০ বছর তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে এখনই ততটা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তারা কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছেন। ১. কোনো পক্ষই যুদ্ধ চাইছে না। কারণ কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ কারো জন্যই কোনো সুবিধা আনবে না। উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধ বেধে গেলে ক্ষমতার আসন নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। উত্তেজনাকর মুহূর্তে একটি ভুলবোঝাবুঝি থেকেই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন বিবিসির যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আরো বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে তা উত্তর কোরিয়ার জন্য হবে আত্মঘাতী। আবার ঠিক এই কারণেই তড়িঘড়ি পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে চাইছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। কারণ আর যাই হোক, তিনি লিবিয়ার গাদ্দাফি বা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্য বরণ করতে চান না। আবার যুক্তরাষ্ট্রও সহজে উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালাবে না। কারণ তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যুদ্ধে অনেক প্রাণহানি ঘটবে, বিশেষ করে সাধারণ আমেরিকান আর সৈনিকদের। সর্বোপরি, ওয়াশিংটন এমন কোন ঝুঁকিতে যেতে চায় না, যার ফলে আমেরিকান ভূখণ্ডে কোন পারমাণবিক হামলা হতে পারে। ২. শুধু কি কথার লড়াই? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, সেটা একজন প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যতিক্রম। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র পুরোদমে যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। মার্কিন একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, উত্তেজক কথাবার্তা বাড়ছে মানে এই নয় যে, আমাদের অবস্থানও বদলাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দুই দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর, জাতিসংঘের মাধ্যমে অবরোধ আরোপের সেই পুরনো পথেই হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনো কূটনীতিকরা আশা করছেন, রাশিয়া আর চীনের সহায়তায় উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনা যাবে। যদিও কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, এরকম উত্তেজক পরিস্থিতিতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকেও একটি যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে ৩. আগেও এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিজে ক্রাউলে যেমনটা বলেছেন, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার সশস্ত্র যুদ্ধের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তখন পারমাণবিক কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল দেশটি। তবে কূটনীতি দিয়েই তা সমাধান করা হয়েছে। এরপর অনেকবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সেগুলো কখনো বাস্তব হয়নি। আর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছেন, তাও একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত নয়। এটাই যা একটু আশঙ্কার যে, তিনি হঠাৎ করে কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন কিনা। তবে তার এ ধরনের কোনো কাজে নিশ্চয়ই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বাধা দেবেন। আর তাই মি. ট্রাম্পের এরকম ব্যতিক্রমী আচরণের কারণে করো উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই বলেই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। আর তাই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াও আগাম একটি যুদ্ধের আশঙ্কায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, এখনো পরিস্থিতি সংকট সময়ে পড়েনি। আশা করা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে। ৪. চীন কি চায়? উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র প্রতিবেশী চীন। অনেক কিছুর জন্যই দেশটি চীনের উপর নির্ভরশীল। তাই বড় কোন যুদ্ধে জড়াতে হলে চীনের মনোভাব বিবেচনা করতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। ইউনিভার্সিটি অফ মালয়েশিয়ার চীন বিষয়ক বিভাগের একজন ফেলো, এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার বিষয়ক গবেষক ড. মাহমুদ আলী বলছেন, যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য সহায়তাতেই উত্তর কোরিয়া এতদিন ধরে টিকে রয়েছে। বতর্মান বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় চীনের সঙ্গে। তিনি বলছেন, চীন ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছে। চীন চায়না উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হয়ে যাক। তাহলে এমন একটি সংযুক্ত, অবিভক্ত কোরিয়া সৃষ্টি হবে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা একেবারে চীনের সীমানায় চলে আসবে। আবার উত্তর কোরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত হলে কোটি কোটি মানুষ এসে চীনে আশ্রয় নেবে। তখন একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হবে। চীন সেটি চায় না বলে স্থিতিশীলতা তাদের কাম্য। এটাই হচ্ছে আশাবাদের বিষয়। বিবিসি বাংলার আরো খবর: প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি নতুন ভিডিও সার্ভিস আনছে ফেসবুক মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে পুরুষের অজ্ঞতা আর কত দিন?", "doc2": "Şimali Koreya xarici işlər naziri Ri Yong-ho ABŞ prezidenti Donald Trump-ı \"intihara hazırlaşan birisi\" və \"mənəm-mənəmlik edən ruhi xəstə\" adlandırıb. Buna cavab olaraq, ABŞ prezidenti deyib ki, Ri Yong-ho və Şimali Koreya lideri Kim Jong-un bu ruhda ritorikalarını davam etdirsələr, \"çox çəkməyəcəklər\". Həmçinin oxuyun: The bombers staged a show of force close to North Korea's east coast BMT Baş Assambleyasında şəhbə günü çıxış edən Ri Yong-ho öz şərhi ilə Trump-ın çərşənbə axşamı günü BMT Baş Assambleyasında söylədiklərinə cavab vermiş olub. Çərşənbə axşamı günü BMT-də etdiyi çıxışında ABŞ prezidenti Donald Trump Şimali Koreya lideri Kim Jong-un-u \"intihar missiyasında olan raket adam\" adlandırmışdı. Ri Yong-ho isə, bununla əlaqədar, bildirib ki, Trump-ın \"aradan qaldırılması mümkünsüz olan səhvə çevrilmiş\" \"təhqirləri\" Şimali Koreya raketlərinin ABŞ ərazisini vuracağını \"qaçılmaz edir\". Şimali Koreya xarici işlər naziri vurğulayıb kı, cənab Trump-ın çıxışı ona baha başa gələcək. BMT Baş Assambleyasında etdiyi çıxışında Donald Trump demişdi ki, ABŞ özünü və ya müttəfiqlərini müdafiə etməyə vadar olunarsa, Şimali Koreya tamamilə məhv ediləcək. Donald Trump-ın son şərhindən bir qədər əvvəl ABŞ hərbiyyəsinin bombardmançı təyyarələri Şimali Koreyanın şərq sahilinə yaxın ərazi üzərindən uçuş edib. Pentagon bildirib ki, bu uçuşun məqsədi ABŞ-ın malik olduğu hərbi imkanları nümayiş etdirmək olub. İki ölkə arasında gərginliyin kökü Pxenyanın nüvə proqramı ilə bağlıdır. Bir həftə davam edən qarşılıqlı qəzəbli deyişmələrə baxmayaraq, ekspertlər, iki ölkə arasında birbaşa münaqişənin başlaması ehtimalını yüksək saymır. Lakin sərtləşən qarşılıqlı ritorika ilə bağlı, tərəflərdən birinin digər tərəfin sözlərini düzgün anlamayacağı və bundan irəli gələn mümkün nəticələrlə əlaqədar narahatlıq var."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44455366", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44435432", "doc1": "ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ: কিম জং আন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প হাত মেলাচ্ছেন মি. ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে কিম জং আন পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছেন। দুই নেতার স্বাক্ষরিত দলিলে মি. কিম কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এর পর এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প এমন কিছু খুঁটিনাটি প্রকাশ করেন - কাগজপত্রে যার উল্লেখ নেই। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক একান্ত বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা 'একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন পরীক্ষা ক্ষেত্র' ধ্বংস করতে রাজি হয়েছেন, এবং এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে সামরিক মহড়া চালানো বন্ধ করবে। তিনি এসব যুদ্ধের মহড়াকে 'ব্যয়বহুল এবং উস্কানিমূলক' বলেও বর্ণনা করেন। কেউ কেউ অবশ্য এই মহড়া বন্ধের অঙ্গীকারকে 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দিয়েছে' বলে চিত্রিত করতে চাইছেন। তবে এই প্রথম ক্ষমতাসীন অবস্থায় কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার নেতার বৈঠক হলো - যারা কিছুকাল আগেও পরস্পরের উদ্দেশ্যে অপমানকর ব্যঙ্গবিদ্রুপ ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন। কি ঐকমত্য হলো? শীর্ষ বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আন শীর্ষ বৈঠকের মূল বিষয় ছিল: পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং উত্তেজনা হ্রাস। স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয় - দুই দেশ নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে। মি. কিম কোরিয়ান উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ রূপে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার জন্য তার অবিচল এবং দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। কিভাবে এটা করা হবে তা স্পষ্ট করা হয় নি বলে কোন কোন বিশ্লেষক মতামত দিয়েছেন। তাদের কথা : মাত্র দেড় পৃষ্ঠার এই দলিলটি অস্পষ্ট এবং 'এর ভেতরে কিছু নেই।' তবে পরে সংবাদ সম্মেলনে মি, ট্রাম্প বলেন, পরমাণূ অস্ত্র ত্যাগের ব্যাপারটি যেন যাচাই করে দেখা যায় - তাতে মি. কিম রাজী হয়েছেন। মি ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত: বলবৎ থাকবে, তবে মি. কিম অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলে পরে তা তুলে নেয়া হতে পারে। এই বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এর মধ্যে দিয়ে শীতল যুদ্ধের যুগের শেষ সংঘাতের অবসান হলো। একে আরো স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়া এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এখন উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা যেতে পারে। তবে ইরান বলেছে, এমনও হতে পারে যে মি. ট্রাম্প দেশে ফিরে যাবার আগেই এ চুক্তি বাতিল করে দিতে পারেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কিম জং আনের এই সুদর্শন দেহরক্ষীরা কারা সরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার আপত্তি কেন? মরে যাচ্ছে আফ্রিকার হাজার বছরের প্রাচীন গাছগুলো যেখানে একজনের অপরাধের দায় গোটা সম্প্রদায়ের", "doc2": "ABŞ prezidenti Donald Trump və Şimali Koreya lideri Kim Jong-un tarixi görüşü Sənədin detalları açıqlanmasa da prezident Trump bunu \"olduqca hərtərəfli\" adlandırıb. O, \"Nüvəsizləşdirmə prosesinə çox tezliklə başlanacaq\" deyib. Sənədin iki xalq arasındakı münasibətlərdə yeni mərhələ açacağı gözlənilir. Donald Trump imzalama tədbirində \"Düşünürəm ki, hər iki tərəf nəticələrdən heyran qalacaq\" deyib. Koreya lideri isə \"Biz keçmişi arxada qoymağa qərar verdik. Dünya böyük dəyişikliklər görəcək\" deyib. Maraqlıdır ki, Şimali Koreya televiziyası Kim Jong-un Sinqapurda olduğunu bildirsə də, onun ABŞ prezidenti ilə görüşü barəsində heç bir kadr nümayiş etdirməyib. ABŞ prezidenti Donald Trump Şimali Koreya lideri Kim Jong-un-la Sinqapurda görüşüb. 38 dəqiqəlik görüşmənin ardınca hər iki lider nahara çıxıb. İki lider ABŞ və Şimali Koreya ölkələrinin bayraqları önünə salınan qırmızı xalça üzərində bir-birlərinə sarı yeriyib bir-birlərinə əl veriblər. Trump və Kim-in enişli-yoxuşlu münasibəti son 18 ay ərzində həqarətlərdən savaşa qədər gəlib çıxmışdı. Vaşinqton ümid edir ki, bu görüş Kim-in nüvə silahlandırılması layihəsinə son qoya biləcək müddətin başlanğıcı ola bilər. Bəzi təhlilçilərsə düşünürlər ki, Kim təbliğat üçün bu görüşmədən istifadə edir. Birgə keçirdikləri mətbuat konfransında onların rahat davranışı diqqət çəkib. Trump açıqlamasında deyib: \"Özümü əla hiss edirəm. Yaxşı bir görüş keçirəcəyik və son dərəcə uğurlu keçəcək\". Kim isə deyib: \"Bu nöqtəyə gəlmək asan deyildi. Önümüzə maneələr çıxdı, amma bura gəlmək üçün onları aşdıq\". Ağ ev məlumat verib ki, tərçüməçilərin müşayiəti ilə keçirilən ikili görüş düz 38 dəqiqə sürüb. Bundan sonra liderlər tərcüməçiləri ilə birgə yeməyə gedib. İndi nə olacaq? Kim yerli saatla 2-də Sinqapuru tərk edəcək. İkili görüşmədə keçən müzakirələrin detallarını öyrənmək mümkün deyil. ABŞ Şimali Koreyanın nüvə silahlarını ləğv etməsini istəyir, ancaq Şimali Koreya heç də bundan asanlıqla vaz keçənə bənzəmir və qarşılığında nə istəyəcəyi də bəlli deyil. Kim Şimali Koreya iqtisadiyyatının yenidən qurulmasını, iqtisadi embarqoların götürülməsini və xarici yatırımların başladılmasını istəyir. Amma bunun qarşılığında hansı addımları atacağı, hətta verdiyi sözləri tutub-tutmayacağı məlum deyil."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56093559", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-56103608", "doc1": "ভিডিওতে দেখা যায়, দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে \"জেলের মতো বাড়িতে\" বন্দী রাখা হয়েছে তিনি প্রিন্সেস লতিফা। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানকে দেয়া ওই ফুটেজে রাজকুমারী লতিফা আল মাকতুম বলেন, তিনি বোটে করে পালিয়ে যাওয়ার পর কমান্ডোরা তাকে মাদকাচ্ছন্ন করে এবং আবার তাকে বন্দীশালায় নিয়ে আসে। গোপনে পাঠানো বার্তাগুলো আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার বন্ধুরা জাতিসংঘকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দুবাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগে জানিয়েছিল যে, তিনি তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে নিরাপদেই রয়েছেন। জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার কমিশনার ও আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, যিনি ২০১৮ সালে রাজকুমারীর সাথে দেখা করার পর তাকে একজন \"বিপদগ্রস্থ তরুণী\" বলে উল্লেখ করেছিলেন, এখন বলছেন যে রাজকুমারীর পরিবার তাকে \"ভয়াবহভাবে ধোঁকা দিয়েছিল।\" লতিফার বর্তমান অবস্থা এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। \"লতিফার বিষয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছি। সবকিছু বদলে গেছে। আর তাই আমার মনে হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার,\" তিনি বলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার আগে দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফা লতিফার পিতা শেখ মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রপ্রধানদের একজন - তিনি দুবাইয়ের শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। লতিফাকে আটক করার পর দুবাইয়ে ফেরত নেয়ার বছর খানেক পর তাকে গোপনে দেয়া একটি ফোনে কয়েক মাস ধরে ওই ভিডিওগুলো রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি স্নানঘরে বসে সেগুলো রেকর্ড করেছিলেন কারণ সেটিই ছিল একমাত্র কক্ষ, যেটির দরজা তিনি বন্ধ করতে পারতেন। ভিডিও বার্তায় তিনি যা বলেছেন: •নৌকা থেকে যে সেনারা তাকে আটক করেছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি, তাদের \"লাথি মেরেছিলেন এবং তাদের সঙ্গে মারামারি করেছিলেন\" এবং আমিরাতের এক কমান্ডোর হাতে সে চিৎকার না করা পর্যন্ত কামড়ে ধরেছিলেন। •তাকে অচেতন করার ওষুধ দেয়ার পর তিনি চেতনা হারান এবং তাকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে তোলা হয়। সেটি দুবাইয়ে অবতরণের আগ পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। •তিনি পুলিশের পাহারায় একটি ভিলাতে আটক ছিলেন যারা জানালাগুলো বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে তার কোন চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ ছিল না। লতিফার ফিটনেস প্রশিক্ষক টিনা জাওহিআইনেন, যিনি তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন প্যানোরামার কাছে লতিফার আটক হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিনা জাওহিআইনেন, মায়ের দিককার এক ভাই মার্কাস এসাব্রি এবং প্রচারকর্মী ডেভিড হেই। এরা সবাই লতিফাকে মুক্ত করার প্রচারণার সাথে যুক্ত। তারা বলেন যে লতিফার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা এখন এই ভিডিও বার্তাগুলো প্রকাশের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা দুবাইয়ে ওই \"ভিলায়\" বন্দী লতিফার সাথে যোগাযোগ স্থাপনে এরাই সক্ষম হয়েছিলেন, পুলিশ পাহারায় যে বাড়ির জানালাগুলো বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। লতিফাকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে সেটি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করেছে প্যানোরামা। শেখ মোহাম্মদ একটি বিশাল সফল শহর গড়ে তুলেছেন, কিন্তু অধিকারকর্মীরা বলেছেন যে সেখানে ভিন্নমতের প্রতি কোন সহনশীলতা নেই এবং বিচার ব্যবস্থা নারীদের প্রতি বৈষম্য করতে পারে। তার ঘোড়-দৌড়ের বড় ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং মাঝে মাঝেই তিনি রয়াল অ্যাসকটের মতো বড় ধরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন - এখানে যেমন ছবিতে তাকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে রানী এলিজাবেথের সাথে শেখ মোহাম্মদ (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়।) কিন্তু তিনি রাজকুমারী লতিফা এবং তার সৎমা প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসাইনকে নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। প্রিন্সেস হায়া ২০১৯ সালে তার দুই সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন। নৌকায় করে পলায়ন বর্তমানে লতিফার বয়স ৩৫ বছর। কিন্তু তিনি প্রথম পালানোর চেষ্টা করেন ১৬ বছর বয়সে। তবে পালানোর একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন তিনি শুরু করেন ২০১১ সালে ফরাসি ব্যবসায়ী হার্ভি জবার্টের সাথে যোগাযোগের পর। মিজ জাওহিআইনেন, যিনি ক্যাপোইরা নামে ব্রাজিলিয় মার্শাল আর্ট বিষয়ে তার প্রশিক্ষক ছিলেন, তিনি তাতে তাকে সহায়তা করেছিলেন। ২০১৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি লতিফা এবং মিজ জাওহিআইনেন রাবারের তৈরি নৌকা এবং জেট স্কি'র সাহায্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন পতাকাবাহী একটি প্রমোদতরীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ওই প্রমোদতরীতে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন মি. জবার্ট। কিন্তু আট দিন পর ভারতের উপকূলের কাছে প্রমোদতরীটি খুঁজে পায় কমান্ডোরা। মিজ জাওহিআইনেন বলেন, তারা ধোয়া তৈরি করে এমন গ্রেনেড ব্যবহার করে স্নানঘরে লুকিয়ে থাকা তাদের দু'জনকে বেরিয়ে আসতে করে। পরে তাদেরকে বন্দুকের মুখে আটক করা হয়। লতিফাকে দুবাইয়ে ফেরত নেয়া হয় এবং তখন থেকে এর আগ পর্যন্ত তার কোন কথা শোনা যায়নি। মিজ জাওহিআইনেন এবং ওই বোটে থাকা ক্রুদের দুই সপ্তাহ দুবাইয়ে আটকে রাখার পর মুক্তি দেয়া হয়। তবে নিজেদের ভূমিকার বিষয়ে কখনোই কোন মন্তব্য করেনি ভারত সরকার। ২০১৮ সালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার আগে লতিফা আরেকটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন, যেটি তাকে আটক করার পর ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই ভিডিও-তে তিনি বলেছিলেন, \"আপনি যদি এই ভিডিও দেখে থাকেন, তাহলে এটা আসলে ভাল কিছু নয়, এর মানে হচ্ছে হয় আমি মৃত কিংবা আমি খুব খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি।\" এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিষয়ে বিপুল আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি হয় এবং তার মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। এরপর তার বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাপক চাপের মুখে পরে এবং এক পর্যায়ে মিজ রবিনসনের সাথে একটি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। রবিনসনের সাথে সাক্ষাত বান্ধবী প্রিন্সেস হায়ার অনুরোধে মেরি রবিনসন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণে দুবাইয়ে যান। সেখানে লতিফাও উপস্থিত ছিলেন। মিজ রবিনসন প্যানোরামা অনুষ্ঠানে বলেন, তাকে এবং প্রিন্সেস হায়াকে এর আগে বলা হয় যে লতিফার বাইপোলার ডিসঅর্ডার নামে মানসিক রোগ রয়েছে, যা আসলে তার ছিল না। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক হাই কমিশনার মেরি রবিনসনের সঙ্গে রাজকুমারী শেখ লতিফা তিনি বলেন, তিনি আসলে লতিফাকে তার অবস্থা সম্পর্কে কোন কিছু জিজ্ঞেস করেননি, কারণ তিনি তার \"পরিস্থিতি\" নিয়ে \"মানসিক আঘাত আর বাড়াতে\" চাননি। এর নয় দিন পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজ রবিনসনের সাথে লতিফার ছবি প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে দাবি করা হয় যে রাজকুমারী সুস্থ এবং নিরাপদে রয়েছেন। মিজ রবিনসন বলেন: \"ছবি প্রকাশের মাধ্যমে আমার সাথে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতারণা করা হয়েছিল। এটা বিস্ময়কর ছিল... আমি একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।\" ২০১৯ সালে দুবাইয়ের ক্ষমতাসীন পরিবারের নিজস্ব উত্তেজনার বিষয়টি ইংল্যান্ডের হাইকোর্টের সামনে উন্মোচিত হয়, যখন শাসক শেখ মোহাম্মদের একজন স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া তার দুই সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আসেন এবং নিজেদের সুরক্ষা ও নিপীড়িত না হওয়ার অধিকার চেয়ে শেখের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন। গত বছর হাইকোর্ট বেশ কয়েকটি রায় দেয়, যেখানে বলা হয় যে শেখ মোহাম্মদ ২০০২ এবং ২০১৮ সালে লতিফাকে জোর করে ফেরত নেয়ার নির্দেশ এবং পরিকল্পনা করেছিলেন। এছাড়া ২০০০ সালে তার বোন রাজকুমারী শামসাকেও যুক্তরাজ্য থেকে বেআইনিভাবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২০২০ সালে নিজের আইনজীবী ব্যারোনেস ফিওনা শ্যাকলটনের সাথে হাই কোর্টে উপস্থিত হন প্রিন্সেস হায়া (বামে) আদালত এমনটা খুঁজে পায় যে শেখ মোহাম্মদ \"এমন একটি শাসন পরিচালনা করে যাচ্ছেন, যেখানে এই দুই তরুণ নারীকে তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।\" লতিফার বন্ধুরা আশা করছিলেন যে গত বছর মার্চে প্রিন্সেস হায়ার পক্ষে এবং শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, যেখানে তাকে \"সৎ নয়\" বলে উল্লেখ করা হয়, সেটি হয়তো সহায়তা করতে পারে। এখন বার্তাগুলো প্রকাশ করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিজ জাওহিআইনেন বলেন, তার সাথে শেষ বার যোগাযোগের পর \"অনেক সময় পার হয়ে গেছে\"। তিনি বলেন যে, এই সময়ে ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন তিনি। তবে তিনি এও যোগ করেন: \"আমার মনে হয়েছে যে তিনি চান আমরা যাতে তার পক্ষে লড়াই করে যাই, হার না মানি।\" লতিফার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি দুবাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার। বিবিসি বাংলার আরও খবর: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন: টিকাদানে আপনার দেশের অবস্থান কোথায়? আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ", "doc2": "BBC-nin Panorama proqramı ilə paylaşılan videolarda Şahzadə Lətifə deyir ki, o, qayıqda qaçmağa cəhd edərkən xüsusi təyinatlılar ona uyuşdurucu vuraraq hava nəqliyyatı ilə onu yenidən saxlandığı yerə gətiriblər. Gizli mesajların gəlməsi kəsildiyindən onun dostları BMT-ni işə qarışmağa çağırıblar. Dubay və Birləşmiş Ərəb Əmirlikləri (BƏƏ) bundan əvvəl onun təhlükəsiz şəraitdə və ailəsinin qayğısı altında olduğunu bildirmişdi. Lətifənin atası Şeyx Məhəmməd bin Rəşid Əl-Məktum, dünyanın ən varlı dövlət başçılarından biri, Dubay əmiri və BƏƏ-nin vitse-prezidentidir. Videolar bir neçə ay ərzində telefona çəkilib. Həmin telefon Lətifəyə o tutulduqdan və Dubaya qayıtdıqdan təxminən bir il sonra gizli şəkildə verilib. O, videolarını hamam otağında çəkib, çünki qaldığı yerdə açarla qapısını bağlaya bilən yeganə otaq həmin hamam otağıdır. Lətifənin tutulması və saxlanması barədə məlumatı Panoramaya onun yaxın dostu Tiina Jauhiainen, ana tərəfindən qohumu Marcus Essabri və kampaniya fəalı David Haigh açıqlayıblar. Onların hamısı Latifəyə Azadlıq kampaniyasının iştirakçılarıdırlar. Onlar deyirlər ki, Lətifənin təhlükəsizliyindən narahat olaraq onun mesajlarını indi açıqlamaq barədə çətin bir qərar qəbul ediblər. Polis tərəfindən mühafizə olunan, pəncərələri qapadılmış Dubay villasında saxlanılan Lətifə ilə məhz onlar əlaqə qurmağı bacarıblar. Panorama Latifanın saxlandığı yerin harada yerləşdiyinin detallarını müstəqil qaydada yoxlayıb. Dubay və BƏƏ hökumətləri BBC-nin Lətifənin hazırkı vəziyyəti ilə bağlı şərh verilməsi barədə müraciətlərə cavab verməyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44521942", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-42546577", "doc1": "মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই গেমিং এ বেশি আসক্ত ১১তম ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি-তে এটিকে 'গেমিং ডিজঅর্ডার' হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত খসড়া দলিলে এই গেমিং আসক্তিকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক ধরণের আচরণ হিসেবে, যা জীবনের আর সব কিছুর আকর্ষণ থেকে একজনকে দূরে সরিয়ে নেয়। বিশ্বের কিছু দেশে গেমিং আসক্তিকে ইতোমধ্যে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সহ কিছু দেশে তো ইতোমধ্যে এর চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট এডিকশন ক্লিনিক পর্যন্ত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সালে সর্বশেষ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি তৈরি করেছিল। নতুন গাইডলাইনটি প্রকাশিত হবে এ বছরই। এই গাইডে বিভিন্ন রোগের কোড, লক্ষণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। চিকিৎসক এবং গবেষকরা এটির সঙ্গে মিলিয়ে রোগ নির্ণয়ের করার চেষ্টা করেন। গেমিং আসক্তিকে কখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করা হবে, তার বিস্তারিত থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গাইডলাইনে। শিশুরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এতে বলা হয়েছে, ১২ মাস সময় ধরে অস্বাভাবিক গেমিং আসক্তি বা আচরণ দেখা গেলে তা নির্ণয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে যদি অস্বাভাবিক আচরণের মাত্র অনেক বেশি তীব্র হয়, তখন ১২ মাস নয়, তার আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যেসব লক্ষণের কথা এতে উল্লেখ করা হয়েছে: •গেমিং নিয়ে নিজের ও্রপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ( বিশেষ করে কত ঘন ঘন, কতটা তীব্র এবং কত দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করছে, সে বিষয়ে) •গেমিং-কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া •নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও গেমিং অব্যাহত রাখা বা আরও বেশি গেমিং করা লন্ডনের নাইটিংগেল হাসপাতালের টেকনোলজি এডিকশন স্পেশালিস্ট ড: রিচার্ড গ্রাহাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। \"এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে আরও বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে এ ধরণের গেমিং আসক্তিকে লোকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।\" তবে যারা গেমিং আসক্তিকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসেবে দেখার বিপক্ষে, তাদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। গেমিং এর নেশা ঠেকাতে অনেক দেশে আইন করতে হয়েছে তিনি স্বীকার করছেন যে অনেক বাবা-মা এ নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কেবল গেমিং এ উৎসাহী বলে সন্তানদের তারা 'অসুস্থ' বলে ভাবতে পারেন। ড: রিচার্ড গ্রাহাম জানান, বছরে তিনি ডিজিটাল আসক্তির প্রায় ৫০টির মতো কেস দেখেন। এই আসক্তির কারণে এদের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, সামাজিক মেলা-মেশা এবং শিক্ষার ওপর কি প্রভাব পড়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে আসক্তির সমস্যার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করা হয়। রোগী দেখার সময় একটা জিনিসকেই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। এই গেমিং আসক্তি 'নিউরোলজিক্যাল সিস্টেম'কে কতটা প্রভাবিত করছে। এটি চিন্তার ক্ষমতা বা নিবিষ্ট থাকার ক্ষমতার ওপর কি প্রভাব ফেলছে। বিশ্বের অনেক দেশই গেমিং এর আসক্তি নিয়ে চিন্তিত। দক্ষিণ কোরিয়ায় তো সরকার এমন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা মধ্যরাত হতে ভোর ছটা পর্যন্ত অনলাইন গেম খেলতেই না পারে। জাপানে কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি গেম খেলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চীনে সেখানকার সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট শিশুরা কতক্ষণ গেম খেলতে পারে তার সময় বেঁধে দিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, শিশুরা যদিও প্রচুর সময় স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে কাটায়, কিন্তু তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এই ডিজিটাল জগতকে ভালোই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই ভিডিও গেম খেলায় বেশি সময় দেয়। গবেষণক কিলিয়ান মুলান বলেন, \"মানুষের ধারণা শিশুরা দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা স্ক্রীনের সামনে বসে থাকছে, আর কিছু করছে না। আসলে তা নয়। আমাদের গবেষণায় আমরা দেখছি, তারা প্রযুক্তিকে নানা কাজে ব্যবহার করছে। এমনকি স্কুলের হোমওয়ার্ক করার জন্যও তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।\" \"আমরা বড়রা যেভাবে করি, অনেকটা সেভাবে শিশুরাও আসলে তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারটা সারাদিন ধরেই অন্য অনেক কিছুর ফাঁকে ফাঁকে করছে, একবারে নয়।\"", "doc2": "Xəstəliklərin 11-ci Beynəlxalq Təsnifatına (İCD) \"oyun pozuntusu\" xəstəliyi də daxildir. İlkin sənədlərdə bu yeni xəstəlik, \"digər həyati maraqlar üzərində\" üstünlüyə malik olmaqla, daim və ya vaxtaşırı oyun oynamaq davranışı kimi izah olunur. İCD-nin son variantı 1992-ci ildə hazırlanıb, yeni variantı isə 2018-ci ildə dərc olunmalıdır. Məlumatlarda deyilir ki, anormal oyun davranışı barədə diaqnoz qoymaq üçün ən azı 12 ay ərzində oyun oynamağa dair sübutlar olmalıdır. Hərçənd ki, \"əgər simptomlar ağır olarsa\", bu müddət azaldıla bilər. Simptomlara daxildir: Bir çox ölkələr bu yeni xəstəliklə mübarizə aparır. Məsələn, Cənubi Koreyada hökümət yaşı 16 yaşından az olan uşaqlara gecə 12-dən səhər 6-dək onlayn oyunlar oynamağı qadağan edən qanun qəbul edib. Yaponiyada oyunçular hər ay müəyyən edilmiş vaxtı keçərlərsə xəbərdarlıq alırlar. Çində isə Tencent şirkəti isə uşaqların ən populyar oyunlarına giriş müddətini məhdudlaşdırıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47514263", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47556774", "doc1": "মানসা মুসার মক্কা ভ্রমণে তাঁর সাথে ছিলেন ১২০০০ দাস-দাসী এবং আরো ৬০,০০০ মানুষের এক বিশাল বহর। তবে সর্বকালের সেরা ধনীর সম্পদের কাছাকাছিও তিনি নেই। সেই খেতাবের মালিক মানসা মুসা, ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এই মুসলিম শাসক এতটাই ধনী ছিলেন যে তার দানশীলতার কারণে একটি পুরো দেশের অর্থনীতিতে পর্যন্ত ধস নেমেছিল। \"মুসার সম্পদের যে শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে আসলে তিনি যে কতটা সম্পদশালী এবং ক্ষমতাশালী ছিলেন তা ধারণা করাও কঠিন,\"- বিবিসিকে বলেন রুডলফ বুচ ওয়ার, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। \"কারো পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব তার চেয়েও ধনী ছিলেন মানসা মুসা,\"- ২০১৫ সালে মানি ডট কমের জন্য লেখেন জ্যাকব ডেভিডসন। ২০১২ সালে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটি নেট ওর্থ তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার বলে একটি ধারণা দেয়। তবে অর্থনীতির ইতিহাসবিদরা একমত যে সংখ্যা দিয়ে তাঁর সম্পদের কোন সঠিক ধারণা দেয়া একরকম অসম্ভব। সর্বকালের সেরা ১০ ধনী •মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭, মালি সাম্রাজ্যের রাজা) সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা সম্ভব নয়। •অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিস্টপূর্ব- ১৪ খ্রিস্টাব্দ, রোমান সম্রাট)৪.৬ লাখ কোটি ডলার। •ঝাও সু (১০৪৮-১০৮৫, চীনের সং সাম্রাজ্যের সম্রাট শেনজং) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •আকবর (১৫৪২-১৬০৫, ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের সম্রাট) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •এন্ড্রু কার্নেগি (১৮৩৫-১৯১৯, স্কটিশ-মার্কিন শিল্পপতি) ৩৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। •জন ডি রকাফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭, মার্কিন ব্যবসায়ী) ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। •নিকোলাই আলেক্সান্দ্রোভিচ রোমানভ (১৮৬৮-১৯১৮, রাশিয়ার জার) ৩০ হাজার কোটি ডলার। •মীর ওসমান আলী খান (১৮৮৬-১৯৬৭, ভারতীয় রাজপরিবারের সদস্য) ২৩ হাজার কোটি ডলার। •উইলিয়াম দ্য কনকারার (১০২৮-১০৮৭, ইংল্যান্ডের রাজা) ২২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। •মুয়াম্মার গাদ্দাফি (১৯৪২-২০১১, লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক) ২০ হাজার কোটি ডলার। সূত্র: মানি ডট কম স্বর্ণের রাজা ১২৮০ সালে একটি শাসক পরিবারেই জন্ম মানসা মুসার। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে মালি সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তাঁর ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। চতুর্দশ শতকের সিরীয় ইতিহাসবিদ শিহাব আল-উমারির বর্ণনা অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগর এবং তার ওপারে কী আছে তা নিয়ে মারাত্মক কৌতুহলী ছিলেন আবু-বকর। বলা হয় ২ হাজার জাহাজ এবং হাজার-হাজার পুরুষ, নারী এবং দাস-দাসী নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমান তিনি, এবং এরপর আর কখনো ফিরে আসেননি। প্রয়াত মার্কিন ইতিহাসবিদ আইভান ভ্যান সারটিমার মতো অনেকেই মনে করেন আবু-বকর শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছুতে পেরেছিলেন। যদিও এর কোন প্রমাণ নেই। যাইহোক, উত্তরাধিকার সূত্রে ভাইয়ের ফেলে যাওয়া রাজত্বের শাসনভার নেন মানসা মুসা। তাঁর শাসনামলে মালি রাজত্বের আকার বাড়তে থাকে। তিনি তার রাজত্বে আরো ২৪ টি শহর যুক্ত করেন, যার একটি ছিল টিম্বাকটু। তাঁর রাজত্ব বিস্তৃত ছিল ২,০০০ মাইলজুড়ে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নিজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভোরি কোস্টের বড় অংশ ছিল তার রাজত্বে। কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রে এভাবেই মানসা মুসার ছবি আঁকা হয়। এই বিশাল সাম্রাজ্যের সাথে তাঁর আয়ত্ত্বে আসে মূল্যবান খনিজ সম্পদ- বিশেষ করে স্বর্ণ এবং লবণ। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের হিসেবে মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুত ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর তার সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। \"শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান যোগান ছিল মানসা মুসার,\"- বিবিসিকে বলেন ক্যাথলিন বিকফোর্ড বারজক, নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। \"বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো তার সাম্রাজ্যে স্বর্ণ এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করতো, সেই বাণিজ্য থেকে আরো সম্পদশালী হয়ে ওঠেন মানসা মুসা\"। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সবচেয়ে ধুমধামের বিয়ে ঘিরে যত হৈচৈ আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার কার আয়ু বেশি: ধনী না গরিবের? বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী মক্কার উদ্দেশ্যে মানসা মুসা মালি সাম্রাজ্যে স্বর্ণের বিশাল মজুত থাকলেও, এই রাজত্ব বহির্বিশ্বে অতটা পরিচিত ছিল না। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা যখন সাহারা মরু এবং মিশর পার হয়ে মক্কায় হ্জ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনি সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানসা মুসার মক্কা যাত্রা তাকে এবং মালিকে মানচিত্রে স্থান করে দেয় - ১৩৭৫ সালের কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রের বলা হয় ৬০,০০০ মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রী পরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২,০০০ দাস-দাসী। একইসাথে খাবারের জন্য ছিলো ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। মরুর বুক দিয়ে যেন একটি শহর চলছিল। যে শহরের এমনকি একজন দাসের গায়েও স্বর্ণখচিত পারস্যের সিল্কের জামা। শহরের সাথে চলছিল শত-শত উটের আরেকটি বহর, যার প্রতিটির পিঠে শত-শত সের খাঁটি স্বর্ণ। দেখার মত দৃশ্য ছিল সেটি। সেই দেখার মত মানুষ পাওয়া গেল যখন পুরো ক্যারাভানটি কায়রোতে পৌঁছুল। কায়রোর স্বর্ণধস কায়রোতে মানসা মুসার ভ্রমণ সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে তাঁর ভ্রমণের ১২ বছর পর যখন আল-উমারি শহরটিতে যান, তখনো মানুষের মুখে মুখে ছিল মানসা মুসার স্তুতিবাক্য। কায়রোতে তিন মাস অবস্থানের সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ঐ পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্টঅ্যাসেট ডট কমের এক হিসেবে, মানসা মুসার মক্কা যাত্রার ফলে স্বর্ণের যে অবমূল্যায়ন হয় তাতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তৎকালীন সময়ে ১৫০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল। ফেরার পথে আবারো মিশর পার হন মানসা মুসা। অনেকের মতে যেসময় দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন তিনি। চড়া সুদে তিনি বেশকিছু স্বর্ণ ধার করে সেগুলো তিনি বাজার থেকে তুলে নেন। আবার অনেকে বলেন, তিনি এত বেশি খরচ করেন যে তাঁর স্বর্ণ শেষ হয়ে যায়। লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান এবং ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের লুসি ডুরান বলেন, মালির চারণকবি, যারা কিনা গানের সুরে ইতিহাস বর্ণনা করতেন, তারা মানসা মুসার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। \"তিনি মালির এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে তারা (চারণকবিরা) তাদের গানে মানসা মুসার প্রশংসা করেন না। কারণ তারা মনে করেন, তিনি দেশটির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন\"। হৃদয়ে ছিল শিক্ষা মানসা মুসা তার তীর্থযাত্রায় যে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ খরচ অথবা নষ্ট করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার এই অতি দানশীলতাই তাকে বিশ্বের নজরে এনে দেয়। মানসা মুসা আক্ষরিক অর্থেই মালি এবং নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে দেন। ১৩৭৫ সালের একটি কাতালান মানচিত্রে টিম্বাকটুর ওপরে একজন আফ্রিকান রাজাকে স্বর্ণের টুকরো হাতে বসে থাকার ছবি দেখা যায়। তিনিই মানসা মুসা। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন টিম্বাকটু দেখতে আসা শুরু করেন। উনিশ শতকেও টিম্বাকটু ছিল কিংবদন্তীর হারিয়ে যাওয়া এক স্বর্ণের শহর। ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপ থেকেও পরিব্রাজকেরা খোঁজ করতেন এই টিম্বাকটুর। আর এর পেছনে মূল কারণটিই ছিল ৫০০ বছর আগে মানসা মুসার সেই শাসনামল। মক্কা থেকে বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদকে সাথে নিয়ে আসেন মানসা মুসা। যাদের মধ্যে ছিলেন নবী মোহাম্মদের সরাসরি বংশধর এবং একজন আন্দালুসিয়ান কবি ও স্থপতি আবু এস হক এস সাহেলি, যাকে কিনা বিখ্যাত জিংগারেবার মসজিদের নকশাকার হিসেবে ধারণা করা হয়। মানসা মুসা সেই কবিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮২ লক্ষ মার্কিন ডলার। শিল্প এবং স্থাপনায় উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেন, স্কুল, লাইব্রেরি এবং মসজিদ তৈরিতে অর্থ দান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই টিম্বাকটু হয়ে ওঠে শিক্ষার কেন্দ্র এবং সারাবিশ্ব থেকে মানুষজন সেখানে পড়তে আসা শুরু করে, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় সাংকোর বিশ্ববিদ্যালয় নামে। ধনী সেই রাজাকে পশ্চিম আফ্রিকায় শিক্ষার প্রসারের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও সেই সাম্রাজ্যের বাইরে তার সেই গল্প খুব কম মানুষই জানতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, \"ইতিহাস লেখে বিজয়ীরা\"। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মানসা মুসার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। ১৩২৭ সালে জিংগারেবার মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন মানসা মুসা। পরবর্তীতে ইউরোপিয়দের আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন ছিল প্রতাপশালী সম্রাট মানসা মুসার কফিনের শেষ পেরেক। \"মধ্যযুগের ইতিহাসকে এখনো অনেকটা পশ্চিমা ইতিহাস হিসেবেই দেখা হয়,\"- মানসা মুসার কাহিনী কেন এতটা প্রচারিত নয় তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন ব্লক মিউজিয়ামের পরিচালক লিসা করিন গ্রাজিও। \"কয়েক'শ বছর পরে না এসে, মানসা মুসার সময়ে মালি যখন সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিতে সবার শীর্ষে ছিল, তখন যদি ইউরোপিয়রা আফ্রিকায় আসতো- তাহলে হয়তো পুরো বিষয়টা অন্যরকম হতো,\" বলেন মিস্টার ওয়ার।", "doc2": "Mansa Musa Məkkəyə 60 min nəfərlik karvan və 12 min kölə ilə səyahət edib Lakin onu bəşər tarixinin ən varlı insanı saymaq olmaz. Bu titul XIV əsrdə yaşamış Qərbi Afrika hökmdarı Mansa Musaya aiddir. \"Musanın sərvəti haqqında müasir hesablamalar insanı heyrətləndirir. Onun nə qədər var-dövlət və güc sahibi olduğunu təsəvvür etmək mümkün deyil,\" California (Kaliforniya) Universitetindən tarix üzrə dosent Butch Ware BBC-yə deyib. 2015-ci ildə Money.com səhifəsinə yazısında Jacib Davidson bu afrikalı kralın var-dövlətinin saya gəlməz olduğunu yazıb. 2012-ci ildə ABŞ-ın Celebrity Net Worth (Məşhurların Sərvəti) internet səhifəsi onun sərvətini 678 milyard manat (400 milyard dollar) dəyərində hesablayıb. Lakin iqtisadiyyat tarixçiləri Musanın var-dövlətini rəqəmlərə sığmayacaq qədər təsvir edirlər. Tarixin ən zəngin 10 insanı Mansa Musa (1280-1337, Mali imperiyasının hökmdarı) ağlasığmaz sərvət Avqust Sezar (e.ə. 63 - eramızın 14-cü ili, Roma imperatoru) 7.9 trilyon manat (4.6 trilyon dollar) Tsao Çu (1048-1085, Çinin Şenzonq Sonq imperatoru ) sərvətini hesablamaq mümkün deyil I Əkbər (1542-1605, Hindistanın Moğol imperiyasının imperatoru) sərvətini hesablamaq mümkün deyil Andrew Carnegie (1835-1919, şotland-amerikalı sənayeçi) 631 milyard manat (372 milyard dollar) John D Rockefeller (1839-1937, amerikalı biznesmen, maqnat) 578 milyard manat (341 milyard dollar) Nikolay Aleksandroviç Romanov (1868-1918, Rusiya çarı) 509 milyard manat (300 milyard dollar) Mir Osman Əli Xan (1886-1967, Hindistan kral ailəsi üzvü) 390 milyard manat (230 milyard dollar) İstilaçı William (1028-1087) 389 milyard manat (229.5 milyard dollar) Müəmmar Qəddafi (1942-2011, Liviyanın keçmiş dövlət və hərbi xadimi) 339 milyard manat (200 milyard dolar) Mansa Musa dünyaya 1280-ci ildə hökmdar ailəsində gəlib. Onun qardaşı Mansa Əbu-Bəkr imperiyaya 1312-ci ildə ekspedisiyaya gedə bilmək üçün hakimiyyətdən əl çəkənə qədər rəhbərlik edib. 14-cü əsr suriyalı tarixçi Şibab əl-Umariyə əsasən, Əbu-Bəkrin Atlantik okeanına böyük marağı olub. Deyilənlərə görə o, 200 gəmi və minlərlə kişi, qadın və kölədən ibarət donanma ilə okeana ekspedisiyaya çıxıb və geri qayıtmayıb. Amerikalı tarixçi İvan Van Sertima kimi bəzi tarixçilər isə onun Cənubi Amerikaya çatdığına inansalar da, heç bir dəlil yoxdur. Mansa Musa qardaşından qalan imperiyanın başına keçir. Onun hakimiyyəti altında Mali krallığı əhəmiyyətli dərəcədə böyüyür. Musa Timbuktu da daxil olmaq imperiya tərkibinə 24 şəhər birləşdirir. Krallığın ərazisi Atlantik okeanından müasir Niger respublikasına qədər 3000 km qədər uzanırdı. Hazırkı Seneqal, Mavritaniya, Mali, Burkina-Faso, Niger, Qambiya, Qvineya-Bisau, Qvineya və Fil Dişi Sahili də imperiyanın tərkibinə daxil olub. Mali imperiyası (800-1550) Bu qədər böyük ərazi imperiyanı qızıl və duzla zəngin mənbələrlə təmin edirdi. Britaniya Muzeyinə əsasən, Mansa Musanın hakimiyyəti dövründə Mali imperiyası dünya qızılının təxminən yarısına sahib idi. Və həmin qızılın hamısı krala məxsus olub. \"Hökmdar kimi Mansa Musa orta əsrlər dünyasında sərvət sayılan ən dəyərli mənbələrə sahib idi,\" Northwestern Universitetinin Blok İncəsənət Muzeyindən Afrika incəsənəti üzrə mütəxəssis Kathleen Bickford Berzock BBC-yə deyib. \"Qızıl və başqa məhsullar ticarəti ilə məşğul olan ticarət mərkəzləri də onun idarəsindəki torpaqlarda yerləşdiyinə görə, var-dövlətini bu yolla artırmışdı,\" o əlavə edib. Məkkəyə səyahət Mali imperiyası qızıl ilə zəngin olsa da, krallıq tanınmırdı. Bu isə Mansa Musanın Məkkəyə ziyarətindən sonra dəyişir. Belə ki, o, Böyük səhrası və Misirdən keçməli olur. Məkkəyə səyahət Mali və Mansa Musanın xəritədə yer almasına səbəb olub - 1375-ci ilin Katalan Atlas xəritəsi Deyilənlərə görə kral Malidən 60 min nəfərlik karvan ilə çıxıb. O, özü ilə kraliyyət məhkəməsi və rəsmilərini üzvlərinin hamısını, əsgərlər, aşıqlar (musiqi ifaçıları), tacirlər, sarbanlar və 12 min kölə ilə yanaşı, qida üçün keçi və qoyun sürüləri aparıb. Səhrada sanki bir şəhər hərəkət edib. Qullarına qədər başdan-başa qızıl zərxara və ən yaxşı fars ipəyi ilə örtülən bir şəhər. Silsilə şəkildə irəliləyən yüzlərlə dəvə bir neçə üz kiloqram ağırlığında təmiz qızıl daşıyıb. Bu mənzərəni görmək üçün bir cüt göz bəs etməzdi. Və var-dövlətini nümayiş etdirmək üçün Musa Qahirəyə daxil olur. Qahirə qızıl \"böhranı\" Mansa Musa Qahirədə o qədər xoş təəssürat qoyur ki, şəhərə 12 il sonra qonaq gedən əl-Umari insanların onun haqqında böyük hörmətlə danışdığını qeyd edirdi. O, Qahirədə qaldığı üç ay ərzində qızılını o qədər əliaçıqla paylayır ki, regionda qızılın qiyməti gələn 10 ərzində aşağı düşür və bu da iqtisadiyyata ciddi ziyan vurur. ABŞ-da yerləşən texnologiya şirkəti SmartAsset.com, qızılın dəyərdən düşməsi nəticəsində Mansa Musanın zəvvar səyahəti Yaxın Şərq iqtisadiyyatında təxminən 2.5 milyard manat (1.5 milyard dollar) zərərə səbəb olduğunu yazırdı. Geri qayıdan zaman Mansa Musa yenə Misirdən keçir və bəzi mənbələrə görə o, dövriyyədəki qızılın bir hissəsini misirli sələmçilərdən yüksək faizlə geri alaraq ölkənin iqtisadiyyatına kömək etmək istəyir. Bəziləri isə deyir ki, qızılı bitənə qədər paylayır və xərcləyir. Londonda yerləşən Afrika və Şərq Elmləri Məktəbindən Lucy Duran, malili mədəniyyət xadimləri, xüsusilə də tarixçi-hekayətçilər ondan narazı olduğunu qeyd edirlər. \"Musa mali qızılını o qədər çox paylayır ki, yerli vəsaiti imperiyadan kənarda payladığına görə aşıqlar onu mahnılarında tərif etmək istəmirlər,\" o deyir. Təhsil Heç şübhəsiz ki, Mansa Musa zəvvarlığı əsnasında çox soyda qızılı paylayıb və ya xərcləyib. Lakin onun bu böyük əliaçıqlığı dünyanın diqqətini cəlb edib. Mansa Musa sözün hərfi mənasında Malini və özünü xəritəyə sala bilib. 1375-ci ildən qalma katalan atlasında bu afrikalı padşahın rəsmi Timbuktu üzərində qızıl taxtda və əlində qızıl parçası şəklində təsvir olunub. Timbuktu Afrikanın El Doradosuna çevrilir və dünyanın hər tərəfindən insanlar onu görməkdən ötrü buraya səyahət edirlər. 19-cu əsrdə də dünyanın bir ucunda yerləşən bu qədimi qızıl şəhərin mifik statusu aktuallığını saxlayırdı. Timbuktunun avropalı qızıl \"ovçuları\" və tədqiqatçıları üçün maraq nöqtəsinə çevrilməsində böyük rolu təbii ki, Mansa Musa oynamışdı. Mansa Musa 1327-ci ildə məşhur Cinquereber məscidinin əsasını qoyub Mansa Musa Məkkədən bir neçə islam alimi ilə geri qayıdır. Buraya Məhəmməd peyğəmbərin nəslindən bir neçə şəxs və Əbu Əs Haq əs Sahili adlı əndəlusiyalı şair və memar daxil idi. Sözükeçən memar daha çox məşhur Cinquereber məscidinin dizaynı ilə tanınır. Deyilənlərə görə, hökmdar şairə 200 kq ağırlığında qızıl ənam edib. Bu isə 14 milyon dollar deməkdir (8.2 milyon dollar). İncəsənət və memarlığın inkişafı ilə yanaşı, Musa ədəbiyyatı dəstəkləyib və məktəblər, kitabxanalar və məscidlər inşa etdirib. Timbuktu təhsil mərkəzinə çevrilib. Başqa ölkələrdən insanlar təhsil almaq hazırda Sankore Universiteti kimi bilinən təhsil ocağına axışıblar. İmperiyası Qərbi Afrikadan başqa yerdə tanınmasa da, zəngin padşah Qərbi Afrikada təhsil ənənəsinin qurucusu kimi xatırlanır. \"Tarix qaliblər tərəfindən yazılır,\" II Dünya Müharibəsi dövründə Britaniyanın baş naziri olmuş Winston Churchill düşünürdü. Musa 1337-ci ildə 57 yaşında ölür və ondan sonra, hakimiyyətə gələn oğulları imperiyanı qoruya bilmirlər. Dövlətlər tərkibindən ayrıldıqca imperiya dağılmağa başlayır. Regiona gələn avropalılar imperiyanın son qalıqlarını dəfn edirlər. \"Orta əsrlər tarixi hələ də daha çox Qərb tarixi kimi bilinir,\" Blok İncəsənət Muzeyinin direktoru Lisa Corrin Graziose deyir. \"Əgər avropalılar 200 il sonra yox, Malinin hərbi və iqtisadi gücünün pik həddə olduğu Musanın hakimiyyəti əsnasında gəlsəydilər, hər şey daha fərqli olardı,\" cənab Ware deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39770840", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-50045049", "doc1": "মি. এরদোয়ানের তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে যা বলেছেন তা ভারতের কাছে একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু দিল্লিতে আসার ঠিক আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যেভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে বহুপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ও পাকিস্তানের সদিচ্ছা আছে বলে তাদের দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তা ভারতকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। সোমবার বিকেলে মি. মোদি ও মি. এরদোয়ান যখন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তখন তারা কেউ অবশ্য কাশ্মীর শব্দটি উচ্চারণও করেননি। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তুর্কী প্রেসিডেন্টের এই সফর থেকে ভারতের কূটনৈতিক অর্জন যে কিছু হবার নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। দু'সপ্তাহ আগে এক বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে তুরস্কে নিজের কর্তৃত্ব আরও জোরদার করার পর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রথম যে বিদেশ সফর করছেন, তা এই ভারতেই। কিন্তু দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে একটি ভারতীয় চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে যা বলেছেন তা ভারতের কাছে একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। তিনি সেখানে বলেন, \"কাশ্মীরে এই রক্তপাত আমরা চলতে দিতে পারি না। চিরতরে এই সঙ্কটের সমাধানের জন্য আমরা বহুপাক্ষিক একটা সংলাপের সূচনা করতে পারি, তাতে তুরস্কও জড়িত হতে পারে। আর এতে ভারত, পাকিস্তান উভয়েরই লাভ হবে।\" \"আমার প্রিয় বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আমার অনেকদিন ধরেই কথাবার্তা হচ্ছে। আমি খুব ভাল করে জানি তার সদিচ্ছা আছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও চান এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।\" দিল্লির রাজঘাটে গান্ধী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন মি. এরদোয়ান। তুরস্ক বরাবরই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ বলে পরিচিত, কিন্তু কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যে প্রকাশ্যে এমন মনোভাব দেখাবেন তা ভারত ধারণা করতে পারেননি। এই প্রসঙ্গটি সফরে আলোচিত হচ্ছে কি না, দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তার সরাসরি জবাবও এড়িয়ে গেছেন। তবে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অশ্বিনী রায় বলছিলেন, কূটনৈতিক দিক থেকে এই সফরে ভারতের যে বিশেষ কিছু পাওয়ার নেই, তা পরিষ্কার। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, \"অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খাতে হয়তো সহযোগিতা বাড়বে, কিন্তু এই সফরে রাজনৈতিক সংলাপের নিরিখে কোনও অগ্রগতির সম্ভাবনা আমি দেখছি না।\" \"তুরস্কে যে ধরনের সরকারই থাকুক, ভারতে বর্তমান সরকারে যে ধরনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী ঝোঁক দেখা যাচ্ছে, তাতে এই মুহূর্তে ডিপ্লোম্যাটিক মাইলেজ পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে।\" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তবে এটুকু তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যুর নিষ্পত্তিতে সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার ভারতের পক্ষে কিছুতেই মানা সম্ভব নয়। মি. মোদি বলেন, \"সন্ত্রাসবাদের বিপদ ভারত ও তুরস্ক উভয়কেই দুশ্চিন্তায় রেখেছে। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং আমরা একমত হয়েছি যে কোনও কারণ বা কোনও লক্ষ্য, কোনও যুক্তি দিয়েই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা যায় না।\" \"জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল করতে, তাদের অর্থায়ন বন্ধ করতে, সীমান্ত-পারাপার বন্ধ করতেও আমরা একযোগে কাজ করবো\", জানিয়েছেন মি. মোদি। অর্থাৎ কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না-হলে পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে পাল্টা এই বার্তাই দিতে চেয়েছে ভারত। যদিও এটা জেনেই, যে তুরস্ক ও পাকিস্তানের বহুদিনকার আস্থা ও বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরানো যাবে না, মনে করছেন অধ্যাপক অশ্বিনী রায়। তিনি বলছিলেন, \"তুরস্ককে ওই বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি না। তা ছাড়া কাশ্মীরে তো ভারত তো নিজেরাই দিন কে দিন তাদের অবস্থান হারাতে বসেছে। সংলাপ শুরু করাটা ভারতের মধ্যেই বেশ স্পর্শকাতর বিষয়, এবং ভারত বরাবরই বলে আসছে কাশ্মীর একটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এখানে বাইরের লোকজন ঢুকবে না।\" \"তার কারণ হল আমাদের কারও সঙ্গেই তেমন বন্ধুত্ব নেই এখন - কাজেই বাইরের লোকজন ঢুকলে তো বিপদ। আমেরিকা ইদানীং অবশ্য ভারতের বন্ধু হয়েছে, কিন্তু কাশ্মীর প্রশ্নে তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের দোস্তি আরও অনেক পুরনো। চীনও পাকিস্তানের সঙ্গে আছে, তুরস্ক তো ছিলই। রাশিয়া নিয়েও বলা শক্ত, তারা এখনও ভারতের কতটা বন্ধু।\" ফলে ভারত যে কিছুতেই কাশ্মীর নিয়ে আলোচনাকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যেতে চায় না, তার কারণ বোঝা শক্ত নয়। ভারতের জনমতও বিশ্বাস করে এটা ভারত-পাকিস্তানের ব্যাপার, কাশ্মীরে তৃতীয় কারও নাক গলানোর সুযোগ নেই। তাই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সফরের পর হয়তো ভারতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে সেই বাস্তবতার কোনও পরিবর্তন হবে না।", "doc2": "Görüşün təfərrüfatları barədə hələlik rəsmi məlumat verilməyib. Bakıda Türkdilli Dövlətlərin Əməkdaşlıq Şurasının (TDƏŞ) xarici işlər nazirlərinin 7-ci iclası keçirilir. Özbəkistan Prezidenti Şavkat Mirziyoyev, Qazaxıstanın sabiq Prezidenti, Türkdilli Dövlətlərin Əməkdaşlıq Şurasının fəxri sədri Nursultan Nazarbayev, Qırğızıstanın Xarici İşlər naziri Çingiz Aydarbekov və bir sıra digər rəsmi şəxslər iclasda iştirak üçün Azərbaycana gəliblər. Dünya Türk Biznes Şurasının Bakı görüşündə çıxış edən Recep Tayyip Erdoğan \"Türkdilli Dövlətlərin Əməkdaşlıq Şurası bütün türklərin birləşdiyi təşkilatdır\" deyib. Cənab Erdoğan \"Özbəkistanın da 10 illiyi tamam olan Türkdilli Dövlətlərin Əməkdaşlıq Şurasına üzv olması ilə daha da güclənəcəyik\" deyə qeyd edib, Azərtac yazır. Görüş zamanı Türkiyə prezidenti iki ölkə haqda fikirlərini də paylaşıb: \"Azərbaycan və Türkiyə nə qədər güclü olarsa, xaricdəki soydaşlarımız da bir o qədər güclü olacaq\". Bundan öncə Azərbaycan XİN başçısı Elmar Məmmədyarov Türkiyənin Xarici İşlər naziri Mevlüt Çavuşoglu ilə görüşüb. Türkiyəli nazirlə görüşdə Ermənistan-Azərbaycan münaqişəsi ətrafındakı vəziyyət və Yaxın Şərq bölgəsində cərəyan edən proseslər barəsində geniş müzakirələr aparılıb, Azərbaycan XİN bildirir. Nazirlik bildirir ki, görüşdə hər iki ölkənin öz təhlükəsizliyinin təmin edilməsi üçün yeritdiyi siyasətin vacibliyi vurğulanıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44822796", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38790513", "doc1": "ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প ব্রাসেলসে নেটোর সম্মেলন শেষে তিনদিনের এক সফরে বৃহস্পতিবার লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন। মি. ট্রাম্পের এই সফর-সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় এই প্রস্তুতি চোখে পড়ছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম ও অভিবাসনবিরোধী নীতিসহ আরো কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বর্ণবাদী আচরণেরও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার পর তাদের পরিবার থেকে শিশুদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখারও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে তৈরি বেলুন। বেলুনটি সাত মিটার লম্বা। আরো পড়তে পারেন: রাশিয়া বিশ্বকাপ: হুইলচেয়ারে ক্রোয়েশিয়া থেকে রাশিয়া পাকিস্তানে নির্বাচন: কেমন করবেন বেনজির পুত্র বিলাওয়াল থাই কিশোরদের উদ্ধারের পর কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে লন্ডনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্যে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশকে সারা দেশ থেকে পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্যে খরচ হবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার। এই বিক্ষোভের ব্যাপারে সচেতন আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও। বলেছেন, এনিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প বলেছেন, \"প্রতিবাদ হবে কারণ প্রতিবাদ তো সবসময়ই হয়।\" তিনি আরো বলেন, \"কিন্তু আমার বিশ্বাস যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের জনগণ তাকে খুব পছন্দ করেন।\" তিনি এও বলেন, \" কারণ অভিবাসন বিষয়ে তারা আমার সাথে একমত পোষণ করেন।\" মি. ট্রাম্প ব্রিটিশ সরকারের 'ব্রেক্সিট পরিকল্পনার' সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন যদি এধরনের চুক্তি করে তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। \"আমি এটা অন্যভাবে করতাম। আমি আসলে টেরেসা মে-কে বলেছিলাম কীভাবে কি করতে হবে, কিন্তু তিনি তো আমার কথা শোনেন নি।\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ডাওনিং স্ট্রিট থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে তার সম্পর্ক \"খুবই জোরালো।\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনের মেয়র সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে মি. খান 'জঘন্য কাজ' (টেরিবেল জব) করছেন। তিনি বলেছেন, \"ভয়াবহ সবকিছু হচ্ছে। নিয়ে আসা হয়েছে অপরাধও।\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে সাদিক খান বলেছেন, অপরাধের জন্যে অভিবাসীদের দায়ী করা অযৌক্তিক। সাদিক খান বলেন, \"এটা খুব মজার ব্যাপার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অন্যান্য শহরের মেয়রদের সমালোচনা করেন না।\" পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ শুরু থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর মি. খান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেয়র সাদিক খানকে আক্রমণ করেছিলেন। ট্রাম্পবিরোধী এই প্রতিবাদে সায় আছে সাদিক খানেরও। তবে তিনি প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে মি. ট্রাম্পের মতো দেখতে সাত মিটার লম্বা একটি বেলুন উড়ানো হয়েছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে ক্রন্দনরত শিশুর আকৃতিতে এই বেলুনটি তৈরি করা হয়েছে। মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ আগে থেকেই। এই বেলুন উড়াতে অনুমতি দেওয়ায় অনেকে সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। জবাবে মি. খান বলেছেন, সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। লন্ডনের বাইরে ডেভন, এডিনবরা, বেলফাস্ট, ম্যানচেস্টার, লিডস, বেলফাস্টসহ আরো কয়েকটি শহরেও ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনে খুব বেশি সময় কাটাবেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও রানী এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তার স্কটল্যান্ডে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করতে পারেন।", "doc2": "Prezident Trump-ın andiçməsindən bir gün sonra, yanvarın 21-də yüz minlərlə adam mərkəzi Londonda ona qarşı yürüşdə iştirak edib Petisiya 350 000-dən çox imza toplayıb deyə onun Parlamentdə müzakirəsi mümkündür. Rəsmi səfərin planlaşdırıldığı, Theresa May-in ABŞ-a səfəri zamanı elan olunub, lakin hələ səfərin nə vaxt baş verəcəyi bilinmir. Downing Street sözçüsü səfərin ləğv olunmasına çağırışlara münasibət bildirərkən deyib: \"Biz dəvət etdik və dəvət qəbul olundu\". Britaniyanın müxalifətçi siyasətçiləri hakimiyyəti dəvətə görə kəskin tənqid edib. London meri Sadiq Khan deyib ki, prezidentin sərəncamı qüvvədə qalarkən bu səfər baş tutmamalıdır. Theresa May bu həftə Prezident Trump ilə görüşüb və mətbuat konfransı zamanı deyib ki, cənab Trump Birləşmiş Krallığa səfərə dəvət olunub"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46382041", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46365607", "doc1": "সমুদ্রের অগভীর পানিতে আটকে থাকা তিমি যুক্তরাষ্ট্রের এই ভ্রমণ বিষয়ক ব্লগার একজন বন্ধুর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের রাকিউরা অথবা স্টুয়ার্ট দ্বীপে ট্রেকিং করছিলেন বা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করছিলেন। লম্বা যে সৈকতটি হওয়ার কথা অনেকটা মরুভূমির মতো, সেখানেই তারা দেখতে পেলেন অনেকগুলো জীবনের বেঁচে থাকার কঠিন লড়াই। আরো পড়ুন: ১৭ দিন পর মৃত শাবককে বিদায় জানালো তিমি বিক্ষোভের মুখে কবর থেকে তিমি উত্তোলন কুয়াকাটা সৈকতের তিমিটির কংকাল সংরক্ষণের চেষ্টা কুয়াকাটা সৈকতের তিমিটির কংকাল সংরক্ষণের চেষ্টা ''এটা ছিল হতবাক হয়ে যাওয়ার মতো একটি মুহূর্ত,'' তিমিগুলোর আটকে থাকা দেখে বলছেন লিজ কার্লসন ''এটা ছিল হতবাক হয়ে যাওয়ার মতো একটি মুহূর্ত,'' তিনি বিবিসিকে বলছেন, ''আমরা সন্ধ্যার দিকে সৈকতে এসে দেখতে পেলাম, অগভীর পানিতে কিছু যেন আটকে আছে।'' ''যখন আমরা বুঝতে পারলাম এগুলো তিমি, তখন সবকিছু ফেলে রেখে তাদের কাছে ছুটে গেলাম।'' তিনি এর আগে বুনো অবস্থায় তিমি দেখতে পেয়েছেন। \"তবে এরকম কিছুর জন্য কখনো প্রস্তুত ছিলাম না। এটা ছিল ভয়াবহ একটা ব্যাপার।'' এটা একটি ছিল ভয়াবহ ব্যাপার। এই দু'জন তাৎক্ষণিকভাবে তিমিগুলোকে খানিকটা সহায়তার চেষ্টা করেন। তারা সেগুলোকে ঠেলে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ''কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি বোঝা গেল, এখানে আপনার আসলে করার কিছু নেই।\" তিনি বলছিলেন, \"এগুলো বিশাল আকারের প্রাণী। তারা একজন আরেকজনের উদ্দেশ্যে কাঁদছিল, কথা বলছিল - পরস্পরকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাদের সাহায্য করার কোন উপায় ছিল না।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এরশাদ অসুস্থ, সরকারের সাথে আলোচনা করে কে? কে এই নতুন টেস্ট ক্রিকেটার সাদমান মনোনয়নপত্র জমা শেষ: সবার নজর খালেদা, জামায়াতের দিকে হুয়াওয়ে মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে আপত্তি কেন? সৈকতে আটকে থাকা একটি তিমি যখন এই তিমিগুলোকে কোনভাবেই তারা সাহায্য করতে পারছিলেন না, তখন অনেকটা বেপরোয়া ভাবে তারা সাহায্যের অন্য কোন উপায় খুঁজতে শুরু করেন। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে স্টুয়ার্ট দ্বীপটি খুবই প্রত্যন্ত একটি দ্বীপ, তার মধ্যে যে সৈকতে তারা হাঁটছিলেন, সেটি আরো প্রত্যন্ত। এই যুগল গত দুইদিনে এখানে আর কোন পথচারীকে দেখতে পাননি, কিন্তু তারা জানতেন, প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে একটি ট্রেকার্স হাট আছে, যেখানে হয়তো কয়েকজন সংরক্ষণ কর্মীকে পাওয়া যেতে পারে। যদিও মোবাইল ফোনের কোন নেটওয়ার্ক নেই, তবে তাদের আশা, সেখানে হয়তো একটি রেডিও থাকতে পারে। লিজের বন্ধু, জুলিয়ান রিপোল সাহায্যের জন্য ওই হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। 'আমার হৃদয় পুরোপুরি ভেঙ্গে গেলো' সৈকতে মৃত্যুর মুখে থাকা অনেক তিমির সামনে তখন একা লিজ কার্লসন। ''আমি কখনোই তাদের কান্না ভুলবো না, যখন আমি তাদের সঙ্গে, তাদের পাশে পানিতে বসে ছিলাম, তখন তারা যেভাবে আমাকে দেখছিল, যেভাবে বেপরোয়া হয়ে তারা সাঁতার কাটার চেষ্টা করছিল অথচ তাদের ওজন তাদেরকে বালুর আরো গভীরে গেঁথে ফেলছিল,'' ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন। ''আমার হৃদয় পুরোপুরি ভেঙ্গে গিয়েছিল।'' নিউজিল্যান্ডে এর আগেও সৈকতে তিমি আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে তখন ৩০ বছরের লিজ একটি শিশু তিমি দেখতে পান এবং সেটিকে ঠেলে গভীর পানিতে পাঠানোর চেষ্টা করেন। বড় তিমিগুলো নড়ানো একেবারেই সম্ভব না হলেও, ছোট এই তিমিটাকে তিনি গভীর পানিতে পাঠাতে সক্ষম হন। ''শিশুটিকে গভীর পানিতে পাঠানোর জন্য আমার সর্বশক্তি খাটাতে হলো। কিন্তু এরপরেও সে চলে না গিয়ে সৈকতের কাছাকাছি সাঁতার কাটতে লাগলো,'' তিনি বিবিসিকে বলছেন। ''জুলিয়ান যাবার পর, আমি শুধুমাত্র শিশু তিমিটির সঙ্গে সৈকতে বসে রইলাম।'' ''আপনি এই প্রাণীগুলোর ভয়ের ব্যাপারটি অনুভব করতে পারবেন। তারা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে, আপনাকে দেখছে, তাদের চোখগুলো অনেকটা মানুষের চোখের মতো।'' নিউজিল্যান্ডের সৈকতে আটকে থাকা তিমি পরের কয়েক ঘণ্টায় অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার ছিল না। ''আমি জানতাম, তাদের মৃত্যু ঠেকানোর হয়তো কেনা উপায় নেই,'' ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন লিজ।, ''বালুতে আমার গোড়ালি ডুবিয়ে হতাশায় ডুবে ছিলাম, কাঁদছিলাম, আর আমার পেছনে অসংখ্য তিমি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।'' 'তাদের চোখে অশ্রু' কয়েক ঘণ্টা পরে জুলিয়ান একদল রেঞ্জারকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলো। তারা পুরো পরিস্থিতিটা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হলেন, কিন্তু রাত নেমে আসার কারণে তাদের তখন কিছু করার ছিল না। তখনো বেশিরভাগ তিমি সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে ছিল এবং স্রোতও বাড়ছিল। তাই লিজ এবং জুলিয়ান যখন তাদের ক্যাম্প সাইটে ফিরে এলেন, তখন তাদের মধ্যে আশা কাজ করছিল যে, হয়তো কয়েকটি তিমি সাগরে ফিরে যেতে সক্ষম হবে। সৈকতে আটকে পড়ে মারা যাওয়া একটি তিমি কিন্তু পরদিন সকালে তারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন, যা আরো ভয়াবহ। তখন স্রোত কমে গেছে এবং তিমিগুলো শুকনো বালুর ওপর আটকে রয়েছে। কয়েকটি এর মধ্যেই মারা গেছে এবং অন্যগুলো সৈকতে সূর্যের আলোয় কষ্ট পাচ্ছে। ''তাদের চোখে ছিল অশ্রু'' লিজ বলছেন, ''দেখে মনে হচ্ছিল, তারা কাঁদছে এবং তারা দুঃখের শব্দ করছিল।'' এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, একটি তিমিকেও হয়তো বাঁচানো যাবে না। কেন তিমিগুলো সৈকতে এসে আটকে পড়ে, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার নন বিজ্ঞানীরা একটি তিমিকে সরাতে অন্তত পাঁচজন ব্যক্তির সহায়তা দরকার হয়। কিন্তু দ্বীপ এবং সৈকতটি এতোটাই প্রত্যন্ত যে, সময়মত কোন সাহায্য পাওয়ার আশা নেই। পুরো দ্বীপটিতে মাত্র কয়েকশো ব্যক্তি বসবাস করে। সুতরাং রেঞ্জারদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল, যাকে তারা বলেন 'হৃদয় ভাঙ্গা সিদ্ধান্ত'। তখন একমাত্র বিকল্প হল, এই তিমিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি আর কষ্টকর মৃত্যুর পথে ফেলে যাওয়া। নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণ দপ্তর বলছে, এর মানে হল তারা যেখানে আছে, সেখানে ফেলে যাওয়া এবং প্রকৃতিতে তার নিয়ম মতো কাজ করতে দেয়া। সংস্থাটি বলছে, এটা পরিষ্কার নয়, তিমিগুলো কেন এভাবে সৈকতে আটকে পড়েছিল। কোন একটি তিমির সৈকতে আটকে পড়া নিউজিল্যান্ডে নতুন নয়, কিন্তু এভাবে দলবেঁধে সৈকতে আটকে পড়ার ঘটনা বেশ দুর্লভ। এটা হয়তো বিভ্রান্তি হয়ে অগভীর পানিতে চলে এসেছিল এবং সৈকতে আটকে পড়ে। পাইলট তিমি সামাজিকতার কারণে বেশ পরিচিত। সুতরাং এমন হতে পারে, যখন একটি তিমি দিক ভুল করে সৈকতে এসে আটকে পড়ে, অন্য তিমিগুলো হয়তো তাদের উদ্ধার করতে এসে নিজেরাও বিপদে পড়েছিল। সমুদ্রের তলে তিমিরা যেভাবে একসঙ্গে হয়", "doc2": "Amerikalı səyahət blogeri, dostu ilə Stewart adasına baş çəkən zaman faciəvi səhnənin şahidi olub. Ümumi sayı 150-dək olan iki qara delfin sürüsü suyun qabarması və sonradan çəkilməsi nəticəsində sahilin dayaz su hissəsində ilişib qalaraq çapalayırdılar. Keçmişdə Liz delfinlərlə onların təbii mühitində qarşılaşmışdı, lakin bu dərəcədə dəhşətli səhnəni ilk dəfə idi ki, görürüdü. \"Ən pisi onlara kömək edə bilməməyimiz idi\" Dostlar delfinləri suya tərəf çəkməyə cəhdlər etdilər. \"Amma qısa bir zamanda heç bir şey edə bilmədiyini başa düşürsən. Onlar çox böyükdür, - Liz deyir. - Acizliyini anlayırsan. Onlar qışqırır, bir-birinə nəsə deyir, səs çıxarır, sən isə onlara heç cür kömək edə bilmirsən.\" \"Ürəyim partlayırdı\" Dostu kömək axtarmağa getdi, Liz isə onlarla can verən delfin arasında tək qaldı. \"Onların çığırtısı, mənə necə baxmaları, heç zaman yaddan çıxmayacaq. Onlar var güclərilə üzməyə çalışırdılar, lakin böyük çəkiləri onları quma daha da basdırırdı. Ürəyim üzülürdü\", - Liz Instagram səhifəsində yazıb. Sonra Liz böyük delfinlər arasında kiçik bala delfini görüb onu xilas etməyə çalışır, suya çəkir. Lakin bala delfin özünü yenidən sahilə atır. 30 yaşlı bloger yazıb ki, bundan sonra əlacsız halda bala delfinin yanında oturub və delfinlərin necə can verdiyinin şahidi olub. \"Onlar sənə baxanda, delfinlərin nə dəhşət keçirdiyini anlayırsan. Onların baxışı insan baxışına bənzəyirdi\". \"Onların gözlərində yaş var idi\" Bir neçə saatdan sonra Liz-in dostu Julian bir qrup adamla köməyə gəldi, lakin gecə saatlarında nəsə etmək mümkünsüz idi. Liz ümid edirdi ki, su qabaranda delfinlər üzüb gedə biləcəklər. Lakin səhər açılanda vəziyətin daha pis olduğu aydınlaşdı. Su az qabarmışdı, delfinlər quru qumun üstündə idi, günəş onları bişirirdi. \"Onların gözündə yaş var idi, - Liz deyir. - Onlar sanki, ağlayırdı və kədərli səs çıxarırdı.\" Delfinlərdən heç birinin sağ qalmayacağı aydın idi. Hadisə yerinə gəlmiş xilasedicilər vəziyyətin çıxılmazlığını görüb, delfinləri yatızdırmaq qərarına gəldilər. Əks halda delfinlər əzab içində öləcəkdirlər. Yeni Zelandiyanın Təbiəti Mühafizə Departamenti (DOC) bildirib ki, delfinlərin cəsədi, təbiətin ixtiyarına buraxılaraq, necə varsa, elə də qalacaq. DOC qeyd edib ki, bu tip delfinlərin özünü sahilə atmasının səbəbi aydın deyil: tək-tək delfinlər özünü sahilə atıb, lakin belə kütləvi şəkildə bunun baş verməsi nadir hadisədir. Mümkün səbəblər kimi, delfinlərin yolu azması və ya xəstəliyin ola bilməsi qeyd edilib. DOC eləcə də istisna etmir ki, bu tip delfinlər bir-birinə çox bağlı olduğundan, bir delfinin sahildə ilişib qalmasından sonra, ola bilsin ki, \"sürüdəki qalan delfinlər də onun köməyinə tələsib və nəticədə, sahildə ilişib qalıblar.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40811007", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-37327752", "doc1": "অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আসে যে সৌদি আরবে হজ আর আল-উমরাহ-করতে যেসব মুসলমান যান, তাঁদের কাছ থেকে দেশটি আসলে কত অর্থ রোজগার করে? সৌদি আরবের অর্থনীতির কত ভাগ এই রোজগার থেকে আসে? এই বিষয় নিয়ে বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। অর্থের অঙ্ক বের করতে গেলে প্রথমেই দেখা দরকার -হজ করতে ঠিক কত সংখ্যক মুসলমান সৌদি আরবে যান? গত বছর মোট ৮৩ লক্ষ মানুষ হজ করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আল-উমরাহতেও গিয়েছিলেন। গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন। এর মধ্যে আবার দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তাঁরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন। গত বছর সৌদি আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। কিন্তু গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা। এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে। হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। যেমন গত বছরই প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন। নানা দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে গেছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন। সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি। সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী আগামী চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে এক কোটি ২০ লক্ষ হয়ে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলামানেরা হজ পালন করতে যান। গত বছর হজ থেকে সৌদি আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে। এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সৌদি অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে। মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১৫০০ ডলার ব্যয় করেন। তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩০০০ ডলার খরচ লাগে। এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়। ইরান থেকে আসা এক হজ যাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সী বিভাগকে জানিয়েছেন যে এ বছর তাঁর হজের বাজেট প্রায় আট হাজার ডলার। এর মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁর ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সৌদি অর্থনীতিতেই ঢুকছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে দুই লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)। নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম। অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে সৌদি আরবের যা রোজগার হয়, তার থেকেও বেশি আয় করে তারা হজ থেকে। তবে তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে। সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:", "doc2": "Həcc ziyarətinə 1.5 milyona yaxın adam qatılıb Ötən il Məkkə yaxınlığında yaranmış basabas 2 mindən artıq zəvvarın ölümü ilə nəticələnmişdi. Ölənlər arasında çox sayda İran vətəndaşları da olub. Hadisənin ardınca Həccin təşkilinə görə Səudiyyəni tənqid edən İran bu il vətəndaşlarının Məkkəyə getməyəcəyini bildirib. Səudiyyə hakimiyyəti təhlükəsizlik tədbirlərini sərtləşdirməkdədir. Məkkədəki əl-Həram, yəni Böyük Məscidin ətrafında avtomobill hərəkəti yasaqlanıb. Həccə gedən zəvvarlara qolbağılar verilir Müxtəlif yerlərdə buraxılış məntəqələri yaradılıb, zəvvarlara şəxsi məlumatın əks olunduğu qolbağılar paylanılır. Şənbə günü zəvvarlar əl-Həram məscidindəki ibadətdən sonra Məkkədən 5 kilometr şərqə doğru yerləşən Minaya yollanacaqlar. Həcc ziyarətinə müxtəlif ölkələrin vətəndaşları qatılır Həcc dünyanın ən iri dini toplantılardan biridir. Həcc müsəlman qardaşlığı hissini gücləndirmək məqsədinə də xidmət edir. Həccin məqsədi sosial status, zənginlik əlamətləri və təşəxxüs hissini aradan qaldırmaqdır Şənbə günü zəvvarlar əl-Həram məscidindəki ibadətdən sonra Məkkədən 5 kilometr şərqə doğru yerləşən Minaya yollanacaqlar. Səudiyyə Ərəbistanı zəvvarları qəbul etmək üçün infrastruktur yaradır"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45422055", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-53967690", "doc1": "স্কুলে পড়াশোনার খরচ প্রতিবছর বাড়ছে। কোন দেশে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সময় কিম্বা সবচেয়ে কম সময় স্কুলে থাকতে হয়? কোন দেশের অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার পেছনে খরচ করতে হয় সবচেয়ে বেশি অর্থ? এখানে সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার এরকম কিছু পরিসংখ্যান ও তথ্য তুলে ধরা হলো: যুক্তরাষ্ট্রে কিন্ডারগার্টেন থেকে মাধ্যমিক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর পেছনে গড়ে একটি পরিবারের খরচ হয় ৬৮৫ ডলার। গত এক যুগে এই খরচ দ্বিগুণের মতো বেড়েছে। এই হিসেবে সব খরচ এক সাথে যোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের শিক্ষা বছরে অভিভাবকদের মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে ২,৭৫০ কোটি ডলার। পড়ালেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কম্পিউটারের পেছনে। প্রত্যেক পরিবারে এই খরচ ২৯৯ ডলার। তারপরে রয়েছে স্কুলের পোশাক-আশাক বা ইউনিফর্ম, ২৮৬ ডলার। ট্যাবলেট ও ক্যালকুলেটরের মতো ইলকেট্রনিক যন্ত্রপাতি কিনতে লাগে ২৭১ ডলার। সবচেয়ে কম অর্থ খরচ হয় যেসব জিনিসের পেছনে তার মধ্যে রয়েছে ফাইল, ফোল্ডার, বই, হাইলাইটারসহ অন্যান্য সামগ্রী। এসব জিনিসের পেছনে খরচ ১১২ ডলার। বলা হচ্ছে, আগামীতে যে এই খরচ আরো বাড়বে এবং তারও পরে আরো বাড়তেই থাকবে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সূত্র: স্ট্যাটিস্টা রাশিয়ায় স্কুলে কাটাতে হয় সবচেয়ে কম সময়। বছরে কতক্ষণ থাকতে হয় স্কুলে গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৩টি উন্নত দেশের মধ্যে রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে কম সময় স্কুলে কাটাতে হয়। এক বছরে তারা স্কুলে থাকে ৫০০ ঘণ্টার মতো। (কিন্তু আন্তর্জাতিক গড় হচ্ছে ৮০০ ঘণ্টা।) তার মানে রাশিয়ায় একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো স্কুলে কাটাতে হয়। স্কুল খোলা থাকে আট মাস। কিন্তু তার ফলে লেখাপড়ায় যে রাশিয়া পিছিয়ে পড়ছে তা নয়। রাশিয়ায় সাক্ষরতার হার ১০০%। তারপরের অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে কাটাতে হয় বছরে ১,০০০ ঘণ্টা। অর্থাৎ রাশিয়ার শিক্ষার্থীদের তুলনায় তাদেরকে দু'মাস বেশি ক্লাস করতে হয়। ডেনমার্কে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন লম্বা সময় ধরে স্কুলে থাকতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা তাদের সদস্য দেশগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে যে জরিপ পরিচালনা করে থাকে তাতে দেখা যায় ডেনমার্কের অবস্থান তালিকার শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি দেশের ভেতরে। তার অর্থ কেউ কেউ এভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারেন যে বেশি সময় ধরে স্কুলে থাকলে তার একটা উপকারিতাও হয়তো থাকতে পারে। স্কুলে শিশু কতোক্ষণ থাকছে তার উপরেও কি লেখাপড়ার মান নির্ভর করছে? আরো পড়তে পারেন: কোন দেশে লেখাপড়ার খরচ সবচেয়ে বেশি? এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা কি আগের চাইতে তীব্রতর? সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস সস্তায় লেখাপড়ার কথা ভাবছেন? সন্তানকে কোন দেশে লেখাপড়া করাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করছে মোট খরচ কতো হতে পারে। দেশ ভেদে এই পার্থক্য এক লাখ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। স্কুলের বেতন, বইপত্র কেনা, স্কুলে যাওয়া আসার খরচ, থাকা খাওয়া - সব একসাথে যোগ করলে হংকং-এ প্রাথমিক স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত যতো খরচ হয় সেটা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ স্কুলে লেখাপড়ার জন্যে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হংকং। এবং অন্যান্য দেশের খরচের তুলনায় এটা খুব বেশি। হংকং-এ বৃত্তি, ঋণ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা এসব বাদ দিলেও একজন শিক্ষার্থীর পেছনে অভিভাবকদেরকে তাদের নিজেদের পকেট থেকে খরচ করতে হয় আরো এক লাখ ৩১ হাজার ১৬১ ডলার। তারপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানে অভিভাবকদের খরচ হয় ৯৯ হাজার ডলার। সিঙ্গাপুরে ৭১ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ বেড়েছে। দেশটিতে অভিভাবকরা গড়ে মোট খরচের ২৩% পরিশোধ করেন নিজেদের পকেট থেকে। কিন্তু ফ্রান্সে একটি পরিবারকে তাদের সন্তানের শিক্ষা জীবনের পেছনে খরচ করতে হয় ১৬ হাজার ডলার। সূত্র: এইচএসবিসি/স্যালি মে ধারণা করা হয় সারা বিশ্বে প্রতি বছর দেড় হাজার থেকে দু'হাজার পেন্সিল উৎপাদন করা হয়। পেন্সিলের পেছনে খরচ এখনকার সময় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, থ্রি ডি প্রিন্টিং এবং ড্রোনের যুগ হলেও সারা পৃথিবীতে সামান্য একটি পেন্সিলের পেছনে খরচ হয় প্রচুর অর্থ। ধারণা করা হয় পেন্সিল আবিষ্কার হয়েছিল ৪০০ বছর আগে। কিন্তু এখনও প্রতি বছর দেড় হাজার থেকে দু'হাজার কোটি পেন্সিল উৎপাদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পেন্সিল তৈরির জন্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সেডার গাছের কাঠ। এই গাছটি পাওয়া যায় উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় বনাঞ্চলে। আর যে গ্রাফাইট দিয়ে পেন্সিলের শীষ তৈরি হয় তার বেশিরভাগই আসে চীন ও শ্রীলঙ্কার খনি থেকে। এক হিসেবে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে এক বছরে পেন্সিলের চাহিদা মেটাতে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার গাছ কাটতে হয়। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট কতো লম্বা স্কুল জীবন জীবনের এক পর্যায়ে স্কুলের লেখাপড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড কিম্বা আইসল্যান্ডের মতো দেশে এই স্কুল জীবন প্রায় দুই দশকের মতো লম্বা। তবে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় স্কুলে লেখাপড়া করে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লাগে ২২ বছর ৯ মাস সময়। ছ'বছর বয়সে স্কুল শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ হয় ২৮ বছর বয়সে। আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি পড়ালেখা শেষ হয়ে যায় আফ্রিকার দেশ নিজেরে। সেখানে শিশুরা পড়া শুরু করে সাত বছর বয়সে। গড়ে তারা স্কুলে কাটায় পাঁচ বছর তিন মাস। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত সাফ ফুটবল: ধারাভাষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস 'চলো আমরা সিরিয়ায় ঢুকে বাশার আসাদকে মেরে ফেলি' এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা কি আগের চাইতে তীব্রতর?", "doc2": "Almaniyada məktəblilər artıq partalar arxasına keçiblər - maskalarda və sanitayzer əlaltında Britaniya Britaniyada sentyabrın 1-dən başlayaraq İngiltərə və Uelsdə uşaqlar məktəbə gedəcək. Şotlandiya və Şimali İrlandiyada təhsil artıq avqust ayından başlayıb. Təhsil Departamenti tövsiyə edib ki, orta məktəblərdə, yəni, 11 yaşından başlayaraq hamı (Britaniyada bu yaşdan uşaqlar yeddinci sinfə gedir) dəhlizlərdə və digər ümumi məkanlarda maska taxsın. Ən kiçik uşaqlar üçün maska mütləq deyil. Baş nazir Boris Johnson əvvəlki tədris ilində dərslərin bərpa edildiyi iyul ayında İngiltərənin ibtidai məktəblərindən birində Yalnız lokal karantinin tətbiq edildiyi bölgələrdə məktəblərdə bu qaydadan istisnalar olacaq - həmin bölgələrdə dəyişikliklərdə maska taxılması - həm şagirdlər, həm də müəllimlər üçün məcburi olcaq. Dərslərdə isə maska taxmaq tələb olunmayacaq. Təhsil Departamenti məktəblərə tövsiyə edir ki, əgər belə bir imkan varsa, məktəbliləri sinif və ya illik qrupun \"kürələrində\" saxlasınlar (məsələn, bir sinif üçün bütün fənlərdən dərs bir otaqda keçilsin), siniflərdə daha çox sayda sanitayzerlər yerləşdirilsin, çox toxunulan əşyalar tez-tez dezinfeksiya olunsun, həmçinin müəllimlərdən bir-biri ilə və şagirdlərlə sosial məsafəni saxlamaq barədə xahiş edilsin. Rusiya Rusiya məktəblilərinin əksəriyyəti həmişəki kimi sentyabrın 1-dən məktəbə gedəcək, lakin bu il virusa görə məktəb önündə şagirdlərin toplantısı və \"ilk zəng\" mərasimləri olmayacaq. Bununla yanaşı, Moskva da daxil olmaqla, bir çox regionlarda uşaqların bir hissəsi evdə qala bilər: əgər valideynlər uşağı məktəbə buraxmağa qorxurlarsa, həmin uşağa \"məsafəli tədrisdə\" qalmaq və tapşırıqları internet vasitəsilə almaq və yerinə yetirmək icazə veriləcək. Rusiyalı məktəblilər koronavirus dövründə mümkün qədər çox eyni sinifdə oturacaqlar, otaqdan otağa keçən isə müəllimlər olacaqlar. Bundan əlavə, Rusiya məktəblərinə müxtəlif siniflər üçün dərslərin başlanmasının müxtəlif vaxtlarını tətbiq etmək göstərişi verilib ki, girəcəklərdə və soyunma otağında hər dəfə sıxılıq yaranmasın. Valideynlər üçün məktəb iclaslarının internetdə keçirilməsi planlaşdırılır. Bütün Rusiya məktəblərində mütləq həkim olacaq; siniflərin tez-tez dezinfeksiya olunması nəzərdə tutulub, məktəbə girişdə hamının temperaturu ölçüləcək. Məktəblilərdən kimsə koronavirusa tutulsa, bütün sinif karantinə göndəriləcək. Mokva məktəbinmdə dezinfeksiya işləri Ukrayna Ukraynanın bölgələri infeksiyaya yoluxma hallarının sayından asılı olaraq, müəyyən kateqoriyaya aid edilir: yaşıl, sarı, narıncı və ya qırmızı və \"qırmızı zonalarda\" sentyabrın 1-də məktəblər açılmayacaq. Avropada yuxarı sinif məktəbliləri üçün maska taxmaq məktəbdə mütləq şərtdir Region tədris ili ərzində \"qırmızı\" kateqoriyaya düşərsə, məktəblərdə iki həftəlik karantin elan olunacaq və uşaqlar evdə təhsil alacaqlar. Şagirdlərdən və ya müəllimlərdən kimdəsə virus aşkar olunsa, vəziyyətdən asılı olaraq bütün sinif və ya bütün məktəb karantinə göndəriləcək. Sinifdən kənarda, ibtidai məktəbdə olan uşaqlar istisna olmaqla, Ukrayna məktəblərində hər kəs üçün maska taxmaq mütləqdir, lakin dərslərdə maska taxmamaq da olar. Ukrayna Təhsil Nazirliyi imkan daxilində bütün fənləri eyni otaqda və açıq havada tədris etməyi tövsiyə edir. Eləcə də antiseptiklərdən imkan olduqca istfadə edilməsi məsləhət görülür. Estoniya Estoniyada məktəblər ümumiyyətlə, kifayət qədər müstəqildir (məsələn, proqram və tədris üsullarının seçilməsində) və koronavirusa qarşı mübarizədə Təhsil Nazirliyi də onlara hərəkət azadlığı verir: təhlükəsizlik tədbirlərindən hansını həyata keçirməyi hər bir məktəb özü həll edə bilər. Təhsil Nazirliyi və Səhiyyə Nazirliyi yalnız tövsiyələr verirlər. Ümumiyyətlə, Estoniyada bütün təhsil müəssisələri həmişəki kimi sentyabrın 1-dən açılır, lakin rəsmilər pandemiyanın yeni dalğası başlayacağı təqdirdə qiyabi təhsilə keçməyə hazır olmağı tövsiyə edir. Almaniyada Almaniya məktəblərində tədris ili sentyabrın 1-dən deyil, avqust ayında başlayıb. Yerli mətbuatın xəbər verdiyinə görə, artıq minlərlə alman məktəbli yenidən karantin rejiminə qayıtmalı olub: demək olar ki, bütün Avropada olduğu kimi, Almaniyada da yoluxmaların sayı artır və məktəblərdə də yeni virus daşıyıcıları aşkar olunur. Almaniyanın bəzi bölgələrində yuxarı sinif şagirdləri dərsə maska taxıb gəlməlidirlər Fransa Fransada infeksiyaya yoluxanların sayı yenidən sürətlə artır, 11 və yuxarı yaşda olan bütün şagirdlər, yəni orta və yuxarı sinif şagirdləri, eləcə də müəllimlərdən maska taxmaq tələb olunur. Fransada məktəblərdə şagirdlərin hamısı yaşdan asılı olmadan məktəbə maska taxıb gəlməlidir Bütün məktəblilər və müəllimlər gündə ən azı bir neçə dəfə əllərini yumalı və ya dezinfeksiya etməlidirlər: məktəbə daxil olmazdan əvvəl, yeməkdən əvvəl və hər bir tənəffüsdən, tualetdən və məktəbdən sonra. Əgər kimsə uşağı məktəbə göndərmək istəmirsə, bu haqda yerli hakimiyyət orqanlarına müraciət etməlidir. İspaniya Koronavirusla bağlı Avropa ölkələri arasında ən ağır durum hazırda İspaniyadadır. İspaniyanən Baş naziri Pedro Sánchez məktəblərin ölkədə həmişəki vaxtda açılacağını bildirib İspaniyada altı yaşından başlayaraq bütün şagirdlər maska taxmalı, əlləri gündə beş dəfədən az olmayaraq yumalı və sosial məsafəyə riayət etməlidirlər. Məktəbin girişində şagirdlərin temperaturu ölçüləcək; siniflərdə müntəzəm olaraq dezinfeksiya işləri aparılacaq. İspaniya məktəblərində kimdəsə virus aşkarlanarsa, bu zaman müəllimlərlə birlikdə bütün sinif karantinə göndəriləcək, yoluxanların sayı çox olduğu halda isə bütün məktəb karantinə göndəriləcək. Türkiyə Türkiyədə ölkənin təhsil naziri Ziya Selçuk Ankara Muazzez Karaçay ibtidai məktəbində tədris ilinin açılış mərasiminə qatılaraq ilk dərs zəngini çalıb və beləliklə 2020-2021 tədris ilinin distant təhsil formatının başlandığını elan edib. Türkiyədə ölkənin təhsil naziri Ziya Selçuk \"ilk zəng\" tədbirində iştirak edib Milyonlarla tələbə Türkiyədə əyani təlimin başlanması planlaşdırılan sentyabrın 21-dək TRT EBA televiziya kanalında distant təhsil alacaqlar. Distant təhsil 18 sentyabr cümə gününə qədər davam edəcək və tutulmuş plana uyğun olaraq, əyani tədris sentyabrın 21-dən həyata keçiriləcək. Azərbaycan Azərbaycanda ali və orta məktəblərdə yeni tədris ili sentyabrın 15-də başlayacaq, təhsil naziri Emin Əmrullayev bildirib. O, Nazirlər Kabineti yanında Operativ Qərargahın cümə axşamı keçirdiyi brifinqində bildirib ki, sentyabrın 15-dən ibtidai siniflərdə dərslərin həftədə 2 və ya 3 dəfə məktəbdə keçiriləcək. Nazir qeyd edib ki, ibtidai siniflərdə 650 mindən çox şagird var ki, onlardan da 250 mindən çoxu epidemoloji vəziyyəti həssas olan Bakıda və Abşeron rayonunda yaşayır. Emin Əmrullayev bildirib ki, V-XI sinif şagirdləri sentyabrın 15-də dərslərə onlayn şəkildə başlayacaq, oktyabrın 1-də isə epidemoloji vəziyyətdən asılı olaraq, onlar məktəbə tədricən qayıdacaqlar. Hələlik bu, həftədə 2 ya 3 dəfə nəzərdə tutulub. Nazir vurğulayıb ki, əgər epidemoloji vəziyyət uyğun olarsa, oktyabrın 15-dən X-XI sinif şagirdlərinin məktəbə qayıtması planlaşdırılır. Emin Əmrullayev bildirib ki, əgər hansısa ailədə kiminsə qızdırması varsa, şagirdin məktəbə gəlməməsinin tərəfdarıdırlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48295298", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48295907", "doc1": "অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ঠেকাতে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের জন্যে আছে নানা ধরনের উদ্যোগ। তার একটি 'পুতুল প্রকল্প' গত দুই বছরে তিনি মোট পাঁচবার গর্ভপাত করিয়েছেন। \"সাধারণত আমি জন্মনিরোধক ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো কখনো সেটা করতে ভুলে যাই। এখন আমি সন্তান নিতে পারবো না। কারণ আমি এখন স্কুলের শেষ বর্ষে,\" বলেন রাজধানী নুকের এই কিশোরী। গ্রিনল্যান্ডে এরকম আরো বহু নারী আছেন যারা তার মতো বেশ কয়েকবার গর্ভপাত করিয়েছেন। পরিসংখ্যানে সেটাই দেখা যাচ্ছে। ২০১৩ সালের পর থেকে এই দেশটিতে শিশু জন্মের চেয়ে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে বেশি। দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর যেখানে ৭০০টি শিশুর জন্ম হয়েছে সেখানে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে ৮০০টি। তাহলে গ্রিনল্যান্ডে গর্ভপাতের হার এতো বেশি হওয়ার পেছনে কারণ কী? রাজধানী নুকে শিক্ষার্থীরা বুধবার বলতেই মনে করেন গর্ভপাতের দিন। লজ্জা কম বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড, কিন্তু এর জনসংখ্যা খুবই কম- মাত্র ৫৬ হাজার। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে যতো নারী অন্তঃসত্ত্বা হন, তাদের অর্ধেকেরও বেশি গর্ভপাত করে ফেলেন। প্রতি এক হাজার নারীর মধ্যে গর্ভপাতের হার প্রায় ৩০। ডেনমার্কে এই হার মাত্র ১২। গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত একটি দেশ, কিন্তু পুরোপুরি সার্বভৌম নয়। অনেক কিছুর জন্যেই দেশটি ডেনমার্কের উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক সমস্যা, আবাসনের সঙ্কট এবং শিক্ষার অভাব - এসবই গর্ভপাতের হার বেশি হওয়ার কারণ। কিন্তু এই ব্যাখ্যাও যথার্থ নয়, কারণ দেশটিতে বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সরবরাহ করা হয় এবং সেসব খুব সহজেই পাওয়া যায়। যেসব দেশে গর্ভপাত বৈধ এবং বিনা খরচে সেটা করা যায়, সেসব দেশেও গর্ভপাতের বিষয়ে লাজ-লজ্জা কাজ করে থাকে। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডে এরকম কিছু নেই। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ব্যাপারে এই দেশের নারীরা মোটেও চিন্তিত নন। তারা বিব্রতও হন না। আরো পড়তে পারেন: গর্ভপাত আইনের প্রতিবাদে 'যৌন ধর্মঘটে'র ডাক মেয়ের গর্ভপাত করাতে আদালতের দ্বারস্থ বাবা-মা গর্ভপাত করাতে পুরুষের অনুমতি লাগবে অর্থনীতির বড় অংশ আসে ডেনমার্ক থেকে কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের আছে নিজস্ব পার্লামেন্ট। গর্ভপাত দিবস অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের সংখ্যা এতো বেশি কেন এই দেশে? \"আমার বেশিরভাগ বন্ধুই একবার হলেও গর্ভপাত করিয়েছে। আমার ও আমার ভাইয়ের জন্মের আগে আমার মা-ও তিনবার গর্ভপাত করিয়েছিলেন,\" বলেন পিয়া, \"কিন্তু তিনি এবিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন না।\" \"যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নুকের শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রতি বুধবার চালু আছে একটি বিশেষ ক্লিনিক। এই দিনটিকে তারা 'গর্ভপাত দিবস' বলেই মনে করে,\" বলেন তুরি হেরমান্সদতির, ডেনমার্কের রসকিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিষয়ে পিএইচডি করছেন তিনি। \"গ্রিনল্যান্ডে গর্ভপাতের বিষয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ কোন বিষয় বা টাবু নয়। নৈতিকতার দিক থেকেও এটাকে খারাপ হিসেবে দেখা হয় না। এমনকি বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক করা কিম্বা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়াকে খারাপ চোখে দেখা হয় না,\" বলেন তিনি। বিনা পয়সায় জন্মনিরোধক সরবরাহ করা হলেও নারীরা এসব ব্যবহার করেন না। জন্মনিরোধক ফ্রি \"জন্মনিরোধক পাওয়া যায় বিনা পয়সায়। এগুলোও পাওয়াও সহজ। কিন্তু আমার বন্ধুরা এসব তেমন একটা ব্যবহার করে না,\" বলেন পিয়া। স্টাইন ব্রেনো একজন নার্স। গত কয়েক বছর ধরে গর্ভপাতের বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি। \"আমি যাদের ওপর জরিপ চালিয়েছি, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ জন্মনিরোধকের কথা জানেন কিন্তু তাদের ৮৫ শতাংশ এসব ব্যবহার করেন না কিম্বা ঠিক মতো ব্যবহার করেন না,\" বলেন তিনি। তার মতে অনাকাঙ্খিত গর্ভপাতের পেছনে একটি কারণ হতে পারে অ্যালকোহল। তিনি বলেন, \"তারা যখন মদ খান তখন তারা জন্মনিরোধক ব্যবহারের কথা ভুলে যান।\" তার মতে নারীরা তিনটি কারণে জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন না বলে তিনি মনে করেন। \"প্রথমত যারা শিশুর জন্ম দিতে চান, দ্বিতীয়ত যেসব নারী সহিংসতার শিকার কিম্বা মদ খান এবং তৃতীয়ত তাদের পুরুষ সঙ্গী হয়তো কনডম ব্যবহার করতে রাজি হন না।\" ১৯৭৫ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ডে গর্ভপাত বৈধ সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন কোন নারী যদি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে তিনি গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অথবা তার বাড়িতে যদি সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটে তাহলেও হয়তো তিনি চাইবেন না যে তার সংসারে শিশুটি আসুক। \"তারা মনে করেন অবহেলিত ও অনাকাঙ্খিত শিশুর চাইতে গর্ভপাতই ভাল,\" বলেন লার্স মোসগার্ড, একজন ডাক্তার তিনি। গ্রিনল্যান্ডে পারিবারিক সহিংসতা একটি বড় সমস্যা। প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর একজন বলেছেন যে তারা বাড়িতে তার মাকে সহিংসতার শিকার হতে দেখেছেন। অনেক সময় পরিবারের শিশুরাও এই সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে। \"গ্রিনল্যান্ডে লোকজনের এক তৃতীয়ায়শ শৈশবে কোন না না কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,\" বলেছেন ডিতে সলবেক, যৌন নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারি প্রকল্পে কাজ করেন তিনি। জন্মনিরোধ সম্পর্কে ধারণা কম যদিও দেশটিকে বিনামূল্যে জন্মনিরোধক সরবরাহ করা হয় এবং এসব সহজেই পাওয়া যায়, তারপরেও এর সুফল খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। \"মনরিং আফটার পিল বলে যে কিছু আছে সেটা আমি মাত্র একমাস আগে জেনেছি। আমার ধারণা অনেকেই এই বড়ির ব্যাপারে জানে না,\" বলেন পিয়া। \"আমার মা কখনো আমার সাথে এসব বিষয়ে কথা বলে নি। কিছু কিছু জিনিস আমি স্কুল থেকে শিখেছি। আর বেশিরভাগই জেনেছি বন্ধুদের কাছ থেকে।\" গ্রিনল্যান্ডের লোকজনের মধ্যে মদ খাওয়ার হারও বেশি। আত্মহত্যার হারও সবচেয়ে বেশি গ্রিনল্যান্ডে শুধু গর্ভপাতের হার নয়, আত্মহত্যার হারও অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে প্রত্যেক বছরে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৮৩ জন আত্মহত্যা করেন। যেসব কিশোর কিশোরী কিম্বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বড় ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাদের কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। যতো মানুষ আত্মহত্যা করেন তাদের অর্ধেকেরও বেশি অল্পবয়সী পুরুষ। \"নির্যাতন ও সহিংসতার ভেতরে যারা বেড়ে ওঠে তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি,\" বলেন মনোবিজ্ঞানী লার্স পিডারসেন। অ্যালকোহলও দেশটির বড় সমস্যা। এর জের ধরে বেড়েছে সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাও। \"প্রত্যেকেই এমন কাউকে না কাউকে চেনেন যিনি আত্মহত্যা করেছেন,\" বলেন পেডারসন। গর্ভপাত ফ্রি দেশটিতে সবার জন্যে গর্ভপাত ফ্রি। সেকারণে অনেকেই চিন্তাভবনা না করেই গর্ভপাত করে ফেলেন। তাই কেউ কেউ মনে করেন এই হার কমাতে হলে গর্ভপাতের ওপর চার্জ বসানো উচিত। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এই হার বেশি হওয়ার পেছনে ফ্রি গর্ভপাতের কোন সম্পর্ক নেই। গ্রিনল্যান্ডে ছেলেমেয়েরা ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে যৌন সম্পর্ক করতে শুরু করে। জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যাদের বয়স ১৫ তাদের ৬৩ শতাংশ নিয়মিত সেক্স করেন। তাদেরকে যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করতে সরকার ডল প্রজেক্ট নামে কিছু কর্মসুচিও চালু করেছে। আরো পড়তে পারেন: সাইবার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি রোজার দিনে খাওয়ার অভিযোগে আটক ৮০ শিশুদের সুরক্ষায় শিশু অধিকার কমিশন গঠনের দাবি উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে কার হেফাজতে দেয়া হবে?", "doc2": "Hökumətin təşəbbüsü ilə məktəblərdə həyata keçirilən \"Kukla layihəsi\" yeniyetmələrə gənc yaşlarda uşaq doğmağın fəsadlarını izah edir. O, son iki ildə beş dəfə abort etdirib. \"Adətən qoruyucu vasitərəldən istifadə edirəm, lakin bəzən bunu etməyi unuduram. İndi mən uşaq saxlaya bilmərəm; məktəbin son ilindəyəm\", - Qrenlandiya paytaxtı Nuuk-da yaşayan yeniyetmə deyir. Və o, bu fikrində tək deyil. Rəsmi statistikaya əsasən, 2013-cü ildən bəri Qrenlandiyada hər il orta hesabla 700 doğuş və 800 abort halı olub. Görəsən, Qrenlandiyada abort statistikasının belə yüksək olmasının səbəbi nədir? Paytaxt Nuuk-da tələbələr çərşənbə gününü \"abort günü\" adlandırır. Böyük qəbahət sayılmır Qrenlandiya dünyanın ən böyük adası olsa da, əhalisi təxminən 56 mindir. Hamilə olan qadınların təxminən yarısı hamiləliyi davam etdirmir. Nəticədə, Qrenlandiyada hər 1000 qadına təxminən 30 abort düşür. Müqayisə üçün, Danimarkada abort indeksi xeyli aşağıdır - hər 1000 qadına 12 abort düşür. Qrenlandiyada rəsmi olaraq özünüidarə sistemi olsa da, bu ərazi Danimarkadan asılı statusa malikdir. Hətta iqtisadi çətinliklər, mənzil təminatı və təhsilin qənaətbəxş olmaması nəzərə alınmaqla, hamiləliyin qarşısını alan vasitələrin pulsuz və əlçatan olduğu ölkədə abort statistikasının belə yüksək olması təəccüb doğurur. Hətta abortlara qanunla icazə verildiyi ölkələrdə belə abort edilməsinə yaxşı baxılmır, Qrenlandiyada isə bəzi qadınları bu məsələ narahat etmir; onlar arzuolunmaz hamiləliyi qəbahət saymırlar. Danimarkadan asılı vəziyyətdə olmasına baxmayaraq, Qrenlandiyanın öz parlamenti var. Abort günü Bəs, arzuolunmaz hamiləliklərin sayı niyə bu qədər çoxdur? \"Dostlarımın çoxu abort elətdirib. Mən və qardaşım doğulmamışdan anam üç dəfə abort etdirmişdi, - Piia deyir. - Anam bu mövzuda danışmağı xoşlamır.\" \"Nuuk-da çərşənbə günləri tələbələrin öz seksual sağlamlıqlarını yoxlatmaq imkanı olur, onlar həmin günu \"abort günü\" adlandırıblar, - mövzuyla bağlı Danimarkanın Roskilde universitetində doktorluq işini yazan Turi Hermannsdottir deyir. - Qrenlandiyada abort mövzusunda debatlar və ya evlilikdən əvvəl cinsi əlaqədə olmaq və ya planlaşdırılmamış hamiməlik kimi mövzuları müzakirə etmək qəbahət sayılmır və buna görə heç kim məzəmmət olunmur.\" Qrenlandiyada kontraseptiv vasitələr pulsuzdur, lakin qadınların çoxu onlardan istifadə etmirlər. Qoruyucu vasitələr \"Hamiləlikdən qoruyan vasitələr pulsuz və əlçatandır, lakin mənim dostlarımın çoxu onlardan istifadə etmir\", - Piia deyir. Stine Brenoe Qrenlandiyada ginekoloq işləyir və bir neçə ildir ki, abortlarla bağlı tədqiqat işi aparır. \"Baxış keçirdiyim qadınların təxminən 50 faizi hamiləlikdən qoruma vasitələrinin mövcudluğu barədə məlumatları olub, onların 85 faizdən çoxu həmin vasitələrdən ya istifadə etməyib və ya düzgün istifadə etməyib\", - o, BBC-yə deyib. Arzuolunmaz hamiləlik alkoqol qəbulu ilə əlaqəli ola bilər: \"Alkoqol qəbul edən kişi və ya qadın hamiləlikdən qoruyan vasitələrdən istifadə etməyi unuda bilər\", - Stine Brenoe qeyd edib. Təsir altında Hermannsdottir hesab edir ki, Qrenlandiyada qadınların hamiləliyə qarşı vasitələrdən istifadə etməməsinin üç səbəbi ola bilər: \"[Birincisi,] Qadın uşaq istəyəndə, [ikincisi,] nizamsız həyat tərzi sürən qadın alkoqollu içkinin təsiri altında kontraseptiv həbləri qəbul etməyi unudanda və nəhayət, kişi prezervativ taxmaqdan imtina edəndə\". Qrenlandiyada abortlar 1975-ci ildən leqallaşdırılıb. Zorakılıq və cinsi istismar Qadın zorlandığına görə hamilə qalanda və ya ailəsindəki çətin vəziyyətə görə uşaq doğmamaq qərarına gəlirsə hamiləliyini poza bilər. \"Abort etdirmək arzuolunmaz uşağı doğmaqdan daha yaxşıdır\", - Qrenladiyanın cənubundakı kiçik bir şəhərdə sahə həkimi işləyən Lars Mosgaard deyir. Qrenlandiyada zorakılığın sağlamlığa təsiri halları özünü vaxtaşırı göstərməkdədir.Hər 10 tələbədən biri anasının zorakılığa məruz qalmasının şahidi olub, Nordic Rifah və Sosial Məsələlər Mərkəzi bildirib. Zorakılığın şahidi olmaqla yanaşı uşaqlar tez-tez zorakılığın qurbanı da olurlar. \"Qrenlandiyada böyüklərin üçdə biri uşaqlıqda zorakılığın hansısa formasına məruz qalıb\", - seksual istismarla mübarizəyə dair hökumət proqramına rəhbərlik edən Ditte Solbeck Danimarkanın Yayım şirkətinə bildirib. Qrenlandiya dünyada əhalisinin sıxlığı ən az olan ərazisidir - orada əhali sıxlığı göstəricisi 0,03 nəfər/kv.km təşkil edir Kontrasepsiya vasitələri haqqında məlumatın azlığı Kontraseptiv vasitələr pulsuz və əlçatan olsa da, onların istifadəsiylə bağlı vəziyyət fərqlidir. \"Anam mənimlə seksual sağlamlıq barədə heç zaman danışmayıb, bəzi məlumatları məktəb dostlarımdan öyrənmişəm\", - Piia BBC-yə deyib. Şimal Qütbü ətrafındakı ölkələrinin sağlamlığına dair beynəlxalq jurnalın bildirdiyinə görə, Qrenlandiyada ailələrdə seksual sağlamlıq mövzusunda söhbət aparmaq çətin və yersiz sayılır. Qrenlandiyada yerli əhali arasında alkoqolizm geniş yayılıb. Dünyada ən yüksək intihar statistikası Ən yüksək abort statistikası ilə yanaşı Qrenlandiyada intiharların sayı da olduqca yüksəkdir: hər 100 min nəfərə 83 intihar hadisəsi düşür. Qrenlandiyada intihar hallarının yarısı gənc kişilərin payına düşür. \"Zorakılıq və istismar şəraitində böyüyənlər, bir qayda olaraq, intihara daha meyilli olurlar\", - Qrenlandiyada bir neçə ildir ki, işləyən psixoloq Lars Pedersen deyir. 1953-cü ildə Qrenlandiya Danimarka krallığının tərkibinə qatılıb, Danimarka dili adada rəsmi status alıb, o zamanadan bəri iqtisadiyyat və cəmiyyət dramatik dərəcədə dəyişib. Qrenladiya əhalisinin 88 faizini təşkil edən aborigen inuit xalqı müasir cəmiyyətə uyğunlaşmaq və eyni zamanda mədəni irsini qorumaq yollarını tapmalı idi. \"Qrenlandiya ənənəvi inuit cəmiyyəti quruluşundan müasir yaşayış qaydasına keçdi. Nəticədə alkoqol istehlakı, onun ardınca isə zorakılıq və seksual istismar halları da artmağa başladı, - Pedersen deyir. - Çoxlarının dost-tanışı arasında intihar edən kimsə var\". Rəsmi mənbələrə əsasən, Qrenlandiyada orta hesabla hər üç böyükdən biri təhqiredici rəftara məruz qalıb. Pulsuz abort Bəziləri düşünürlər ki, abortların sayını azaltmaq üçün hər abort halına görə cərimə ödənməlidir. Digərləri qeyd edirlər ki, abort etdirən qadınlar bunu abort əməliyyatının pulsuz olduğuna görə etmir. Misal üçün, abort əməliyyatının eyni dərəcədə \"yüngül\" olduğu Danimarkada abort statistikası (hər 1000 qadına 12 əməliyyat) Qrenlandiyadan xeyli aşağıdır. Qrenlandiyada işləmiş norveçli həkim Johanne Sundby hesab edir ki, abort əməliyyatı pulsuz olmalıdır: \"Əks halda ucuz və təhlükəli abort xidməti təklif edən qara bazar əmələ gələcək\". Kukla layihəsinin məqsədi yeniyetmələr arasında arzuolunmaz hamiləlik və cinsi yolla yayılan xəstəlik hallarının qarşısını almaqdır. Kukla Layihəsi Qrenlandiyada gənclər 14-15 yaşından cinsi əlaqədə olmağa başlayırlar; statistikaya görə 15 yaşlıların 63 faizi mütəmadi cinsi əlaqədə olur. Hökumətin təşəbbüsü ilə məktəblərdə həyata keçirilən \"Kukla Layihəsi\" yeniyetmələrə gənc yaşlarda uşaq doğmağın fəsadlarını izah edir. Bu layihənin məqsədi yeniyetmələr arasında arzuolunmaz hamiləlik və cinsi yolla yayılan xəstəlik hallarının sayının azaldılması, kontraseptiv vasitələrdən istifadə barədə məlumatın təmin edilməsidir. \"Mədəni baryerlər\" Qrenlandiyada abort məsələsinə qadınların yüngül yanaşdığı fikriylə Stine Broene razı deyil. \"Qadınların əksəriyyəti üçün aborta qərar vermək ağır bir məsələdir, - o deyir. - Mən elə bir qadın görməmişəm ki, aborta yüngüllüklə yanaşsın, sadəcə, çoxları bu mövzuda danışmağı sevmirlər. Bəzi həkimlər isə bunu laqeydlik kimi yozur.\" \"Biz bu problemə fərqli bucaqdan baxmalıyıq, - Lars Pedersen hesab edir. - Əsas diqqət arzuolunmaz hamiləliyə şərait yaradan zorakılıq və istismar hallarının qarşısının alınmasına verilməlidir\". *Ad dəyişdirilib"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51290906", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-51281417", "doc1": "করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চীন জুড়ে মানুষ মুখে মাস্ক পড়তে শুরু করেছে। প্রতিনিয়তই চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে এবং আরো সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া পরিকল্পনা করেছে যে, চীন থেকে ফেরত আসা তাদের ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখবে। যা মূল ভূখণ্ড থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ভাইরাসটিকে \"ডেভিল বা খুবই খারাপ প্রকৃতির\" বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে চীন এটাকে পরাজিত করবে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের-এনএইচসি এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে উঠতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। বুধবার এনএইচসি বলেছে, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সি ফুড মার্কেটে অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর ও তীব্র সংক্রমণ হয় যার কোন নির্দিষ্ট নিরাময় বা প্রতিষেধক নেই। এরইমধ্যে স্টারবাকস চীনে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে, এছাড়া অর্থনৈতিক প্রভাবও মারাত্মক হতে শুরু করেছে। কাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে? অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে। এই ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে চার সদস্যের একটি শ্রীলংকান পরিবার রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ক্যানবেরার সাথে একযোগে কাজ করবে নিউজিল্যান্ড। প্রায় ২০০ জন জাপানি নাগরিক উহান থেকে বিমানে করে টোকিওর হানেডা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আরো ৬৫০ জন জাপানি বলেছে যে তারা ফিরে যেতে চান এবং দেশটির সরকার বলেছে যে তারা আরো ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। জাপানের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফিরে আসা নাগরিকদের মধ্যে অনেকে জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন। তবে উপসর্গ দেখা না দিলেও ফিরে আসা সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে রেখে পরীক্ষা করা হবে এবং এগুলোর ফল না আসা পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কিছু মার্কিন নাগরিকও উহান শহর ছেড়ে গেছে। সিএনএন এর তথ্য মতে, তাদেরকে কম পক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারে তৈরি করা বিশেষ ব্যবস্থায় থাকতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও তাদের প্রায় ২০০ নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে যারা ফিরে আসতে চান। কিন্তু কিছু কিছু ব্রিটিশ নাগরিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অভিযোগ তুলেছেন যে, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। আলাদাভাবে, দুটি বিমান ইউরোপের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে, এরমধ্যে প্রথম ফ্লাইটে ২৫০ জন ফরাসি নাগরিক চীন ছাড়বেন। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটে তাদের ৭০০ নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সংক্রমণের শিকার নাগরিকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। এ পর্যন্ত, দেশটিতে চার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরইমধ্যে, হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণ বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। উহানের সাথে সাথে পুরো হুবেই প্রদেশই যানবাহন চলাচলের দিক থেকে অচল হয়েছে পড়েছে। উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়। ভাইরাস সম্পর্কে সবশেষ তথ্য কী? জার্মানি, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং জাপানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে- যা চীন থেকে ভ্রমণকারীদের ভাইরাস বয়ে আনার ধারণার বিপরীত-এই তথ্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান যিনি এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির প্রধান তিনি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, \"আমার মনে হয় এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে, এই প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে পৌঁছাবে এবং এর পরে আর বড় মাত্রায় কোন সংক্রমণ হবে না।\" চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে একমত হয়েছে যে, দেশটিতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হবে যাতে তাদের সহায়তায় এই ভাইরাস বোঝা যায়, এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলায় নির্দেশনা পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট শি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আঢানম ঘেব্রেয়েসাসের সাথে বেইজিংয়ে দেখা করেন এবং বলেন: \"ভাইরাসটি খুবই খারাপ প্রকৃতির এবং এটিকে আমরা লুকিয়ে থাকতে দেবো না।\" সাউথ চীন মর্নিং পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে বলে, ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে একটি হাসপাতাল সাত দিনে তৈরি করা হয়েছে সার্স ভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য। সেই হাসপাতালটিকে আবারো প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার উপযোগী করে তোলার জন্য। উহানেও একই ধরণের একটি হাসপাতাল দ্রুত তৈরি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখলো বিবিসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, চীনের বাইরে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৬০টি ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে থাইল্যান্ডে যেখানে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মানবদেহথেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার নতুন যে খবর এসেছে তা করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। জাপান এবং জার্মানিতে সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো থেকে জানা যায় যে, সংক্রমণের শিকার কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তির মধ্যেও এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে যাদের কাশি এবং জ্বরের উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের মধ্যে এখনো কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর উপসর্গ দেখা দিতে কারো কারো এক সপ্তাহরও বেশি সময় লাগতে পারে। যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে-এর মানে হচ্ছে, আক্রান্ত বা যে সংক্রমণের জীবাণু বহন করছে এমন কারো থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা যাতে নিঃশ্বাসের সাথে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে কিংবা তাদেরকে স্পর্শ করতে না হয়।", "doc2": "Çində yaşayanlar qoruyucu məqsədlə üz maskasından istifadə edirlər. Avstraliya özünün təxliyə olunan 600 vətəndaşını təxminən 2 həftəliyinə ölkənin 2 min kilometrliyində yerləşən Christmas Adasında karantində saxlamağı planlaşdırır. Yaponiya, ABŞ və Avropa Birliyi də öz vətəndaşlarının geri qaytarılmasına başlayıb. Çin Prezidenti Xi Jinpin virusu \"şeytan\" adlandırıb, lakin həmçinin bildirib ki, Çin onu məğlub edəcək. Çinin Milli Sağlamlıq Komissiyasının (ÇMSK) verdiyi məlumata görə, xəstəliyin pik həddə çatması üçün daha 10 gün vaxt lazım ola bilər. Qurum bildirib ki, koronavirus nəticəsində Çində ölənlərin sayı 132 nəfərə çatıb. Çin Milli Sağlamlıq Komissiyası çərşənbə günü virusa yoluxanların sayının 1459 nəfər artaraq 5974 nəfərə çatdığını bildirib. Çin rəsmiləri daha əvvəl bildirmişdilər ki, yanvarın 27-dək ölkədə ümumilikdə 4 min 515 nəfər koronavirusa yoluxub. Virusun 16 ölkədə yayılması ilə də kütləvi evakuasiya səyləri başlayıb. Ehtimal olunur ki, virus Hubei əyalətinin pataxtı Wuhan-da qeyri-qanuni satışı həyata keçirilən dəniz məhsullarından yayılıb. Virus ağır nəfəs yolu infeksiyasına səbəb olur və onun xüsusi müalicəsi və ya vaksinasiyası yoxdur. Hadisənin iqtisadi təsirləri artır, Starbucks adlı şəbəkə Çində yerləşən şöbələrinin yarısını - təxminən, 2 min şöbəsini virus səbəbilə hazırda bağlayıb. Kimlər təxliyə olunur? \"Avstraliyanın təxliyə olunan 600 vətəndaşı təxminən 2 həftəliyinə ölkənin 2 min kilometrliyində yerləşən Christmas Adasında karantində saxlanacaq\", Baş Nazir Scott Morrison deyib. Bu ada immiqrantların saxlama məntəqəsi olması və buradakı şərait və baş vermiş insan hüquqları pozuntusuna görə bu elan narahatlıq yaradıb. Hazırda yalnız 4 nəfərlik bir ailənin məskunlaşdığı məkan min nəfərlikdirı. Yeni Zellandiya da öz 53 vətəndaşını AVstraliyalı təxliyəolunanlarla birlikdə gətirmək üçün Canberra ilə əməkdaşlıq edəcəyini açıqlayıb. Wuhan əhalisi pəncərələrdən \"möhkəm ol\" deyə qışqırırlar. Maska geymək virusun yayılmasının qarşısını alırmı? Yaponiya da öz 200 vətəndaşını ölkəyə gətirib. Yaponiya hökuməti bu ölkənin Çində yaşayan və ölkəsinə qayıtmaq istədiyini bildirən daha 650 vətəndaşının gətiriliməsi üçün yeni uçuşun planlaşdırıldığını bildirib. Yapon mediası yeni gələn vətəndaşların sağlamlığının yoxlanacağı ilə bağlı planları açıqlasa da, bu şəxslərin karantinə alınacağı ilə bağlı planların olmadığını açıqlayıb. Onlardan iki həftə müddətinə evdə oturmağı və simptomları müşahidə etmək istənilir. Çərşənbə günü ABŞ-ın yerli konsulluğu, eləcə də digər vətəndaşları şəhəri tərk ediblər. CNN-in məlumatına görə, təxliyə olunanlar iki həftə müddətinə aeroportda karantində saxlana bilərlər. Böyük Britaniya Xarici İşlər Nazirliyi də özünün ərazini tərk etmək istəyən 200 vətəndaşını bu ölkədən çıxarmağı planlayır. Bəzi Böyük Britaniya vətəndaşları hökuməti evə qayıtmaq istəyən vətəndaşlarına yardım göstərməməkdə ittiham edib. Ayrıca iki təyyarə Avropa İttifaqı vətəndaşlarına evə qayıtmaq üçün planlanıb, ilk uçuşda 250 Fransa vətəndaşının yer alacağı nəzərdə tutulub. Cənubi Koreya da bu həftə özünün 700 vətəndaşının dörd uçuşla evə qaytarılacağını bildirib. Hazırda Honq Konq Çinə səyahəti dayandırmağı planlayır. Wuhan və Hubei əyalətində ciddi nəqliyyat qadağası ilə bağlanıb. Virusun özü ilə bağlı son məlumatlar nədir? İnsandan-insana virusun keçməsinin təsdiqlənməsindən sonra Almaniya, Vyetnam, Tayvan və Yaponiyada virusun yayılması ilə bağlı narahatlıqlar artıb. Çinin aparıcı nəfəs yolları mütəxəssisi və virusun qarşısını almaq və onu nəzarətdə saxlamaq üçün yaradılmış komandanın rəhbəri Zhong Nanshan Xinhua xəbər agentliyinə \"düşünürəm, bir həftə və ya 10 günə virusun yayılması pik həddə çatacaq və ondan sonra virusun yayılmasında artım dayanacaq\" deyib. Çin hökuməti Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının (ÜST) beynəlxalq mütəxəssislərin ölkəyə gətirilib virusu anlamaq və qlobal şəkildə qarşısını almaq cəhdlərinə qoşulmaq təklifini qəbul edib. Prezident Xi ÜST-ün katibi Tedros Adhanom Ghebreyesus-la görüşdə \"bu virus şeytandır, və biz bu şeytanı gizlənməyə qoya bilmərik\" deyib. İnsandan-insana yoluxma qorxunu artırır İnsandan-insana yoluxma halları barədə yayılan xəbərlər insanlarda bu virusun yayılma arealının miqyası barədə təsəvvür yaradaraq qorxu yaradır. Yaponiya və Almaniyada baş verən yoluxmalar göstərib ki, yoluxmuş insana yaxın gedən hər kəs bu virusa yoluxa bilər. Öskürək və qızdırma kimi simptomları olan insanların ən çox yoluxucu olacağı hesab olunur. Ancaq mütəxəssislər açıq bir yoluxma əlamətləri olmayan insanların da risk yarada biləcəyini istisna etmirlər. Bir insanın simptomları inkişaf etdirməsi bir həftədən çox zaman ala bilər. Tövsiyə, yoluxmuş insanlarla yaxın təmasdan qaçmaqdır. Bu nəfəs məsafəsindən qaçmaq, yaxud da digər şəxslərin tənəffüs damlaları ilə çirklənmə ehtimalı olan səthlərə toxunmamaq üçün kifayət qədər məsafə saxlamaq deməkdir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52310694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51821526", "doc1": "বিশ্বে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মারা যাবার খবর আসছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখুন এই মানচিত্রে: এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে, চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ব্যাখ্যা করা হলেও এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। দেশভিত্তিক তথ্য দেখুন নিচের তালিকায়। পূর্ণাঙ্গ তালিকায় রয়েছে প্রত্যেক দেশের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন", "doc2": "İşçilər İstanbulda \"Dolmabahçe Sarayı\"-nı dezinfeksiya edir ÜST-ün baş direktoru Tedros Adhanom Ghebreyesus deyib ki, Çindən kənarda qeydə alınan koronavirusa yoluxma hallarının sayı iki həftə ərzində 13 dəfə artıb. O, \"həyəcanlandıran hərəkətsizlik səviyyəsindən\" \"çox narahat olduğunu\" bildirib. Pandemiya dünyanın bir çox ölkəsində eyni zamanda yayılan xəstəliyə deyilir. Bundan bir neçə saat sonra İtaliya bəyan edib ki, ərzaq dükanları və əczəxanalardan başqa bütün mağazalar bağlanacaq. Avropada koronavirusa görə iş yerlərini ən çox bağlayan İtaliyanın Baş naziri Giuseppe Conte deyib ki, müştəri ilə aralarında \"bir metr məsafə\" saxlanmasına təminat verə bilməyən barlar, bərbərxanalar, restoran və kafelər, eləcə də şirkətlərin köməkçi şöbələri bağlanacaq. ÜST nə deyib? Tedros Adhanom Ghebreyesus söyləyir ki, koronavirusun pandemiya elan edilməsi ÜST-ün ölkələrə tövsiyələrini dəyişməsi mənasına gəlmir. O, hökumətləri \"təcili və aqressiv addımlar\" atmaqla koronavirusun yayılmasının gedişatını dəyişməyə çağırıb. \"Bir neçə ölkə göstərib ki, bu virusu söndürmək və idarə etmək olar\", - o deyib. Azərbaycanda koronovirus Azərbaycanda koronavirusa ilk yoluxma halı 28 fevralda qeydə alınıb. Fevralın 29-da Azərbaycan koronavirusa görə İranla sərhədini bağladı. Martın 10-da verilən məlumata görə, Azərbaycanda 312 nəfər koronavirus şübhəsiylə saxlandığı karantindən buraxılıb. Koronavirusun yarada biləcəyi təhlükənin qarşısının alınması məqsədilə Azərbaycanda bütün təhsil müəssisələrində tədris, təlim-tərbiyə prosesi martın ayının 10-dan 20-dək (ilk tədris günü mart ayının 27-si müəyyən edilir) dayandırılıb, Nazirlər Kabineti elan edib. Bundan başqa bəzi imtahanlar təxirə salınıb. Bakı şəhərində və respublikanın müxtəlif regionlarında mart ayında keçirilməli olan ənənəvi Novruz şənlikləri ləğv edilib və toyların təxirə salınması tövsiyə edilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48108300", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47001449", "doc1": "সামরিক ঘাঁটির বাইরে সেনা বাহিনীর পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে পাশে নিয়ে বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় মি গুয়াইদো একটি সামরিক ঘাঁটির বাইরে সেনা বাহিনীর পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে পাশে নিয়ে ঘোষণা করছেন যে সরকারকে উৎখাতের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয়েছে। তিনি বলছেন, এখন তিনি সেনাবাহিনীর একটি অংশের সমর্থন পাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর বাকি সবাইকে তিনি তার পক্ষে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে নিকোলাস মাদুরোর সরকার বলছে ছোটোখাটো একটি সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, মি: গুয়াইদো এখন ঐ সেনা ছাউনি থেকে সরে গেছেন। কিন্তু টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তার সমর্থকদের সাথে রাস্তায় সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িকে মানুষের মিছিলে ভেতর চালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। সে সময় রাস্তায় বেশ ক'জনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। টুইটারে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন তিনি সেনা কমান্ডারদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টার বিরুদ্ধে তিনি তার সমর্থকদের বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারাকাসের রাস্তায় বিরোধী সমর্থকদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? মি: গুয়াইদোকে দেখা গেছে তিন মিনিটের একটি ভিডিওতে আরেকজন বিরোধী নেতা লিওপোল্দো লোপেজের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। ২০১৪ সালে সরকার বিরোধী এক বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মি: লোপেজ গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। মি: লোপেজ বলেছেন সেনা বাহিনীর সেইসব সদস্যরা তাকে মুক্তি দিয়েছে যারা মি: গুয়াইদোর প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে এবং এই ভিডিওতে মি: গুয়াইদো ঘোষণা করেছেন কারাকাসের \"সাহসী সেনারা\" তাকে সমর্থন করছেন। \"ভেনেজুয়েলাবাসী- রাস্তায় নেমে আসুন...দখলের অবসান ঘটানোকে সমর্থন করুন- দখলদারিত্বে আমরা ফিরতে চাই না। জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভেনেজুয়েলার জনগণের সমর্থন তাদের পেছনে রয়েছে। আমাদের সংবিধান তাদের পক্ষে, ইতিহাস তাদের মনে রাখবে,\" বলেন মি: গুয়াইদো। বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাতান মার্কাস বলছেন ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি এখন অস্পষ্ট এবং অনিশ্চিত। তবে ম: গুয়াইদো ক্ষমতা হাতে নেবার সর্বসাম্প্রতিক এই উদ্যোগ নিয়ে তিনি যে কার্যত বিরাট একটা জুয়া খেলছেন সেটা স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে মূল শক্তি ছিল তার প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর আনুগত্য। মি: মার্কাস বলছেন তাদের এই আনুগত্যে মৌলিক একটা পরিবর্তন ঘটে থাকলে অথবা সেনাবাহিনীর মধ্যে অন্তত বড়ধরনের একটা বিভক্তি ছাড়া বাইরে থেকে কোন ধরনের কূটনৈতিক চাপ মি: মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে বলে মনে হয় না।", "doc2": "Çərşənbə günü özünü prezident elan edən cənab Guaido böhranı sonlandırmaq üçün silahlı qüvvələr də daxil olmaqla bütün sektorlara səsləndiyini bəyan edib. . Seçkilərin nəticəsi müxalifət tərəfindən boykot və saxtakarlıq iddiaları əsasında ləğv edilsə də, cənab Maduro ikinci müddətə prezidentliyə başlayıb. Beynəlxalq ictimaiyyət onun hökumətini tanıyanlar və tanımayanlar üzrə iki hissəyə ayrılıb. Amma Venesuela silahlı qüvvələri hələ ki, cənab Maduro-nu dəstəkləyir. Kim kimə arxa çıxır? Özünü qanuni prezident elan etdikdən sonra ABŞ, 10-dan çox Latın Amerikası ölkəsi, Kanada və Birləşmiş Krallıq (BK) Venesuela Milli Konqresinin lideri cənab Guaido-nu dəstəkləməyə başlayıb. Lakin Rusiya cənab Guaido-ya qarşı çıxaraq bildirib ki, bu, beynəlxalq qanuna ziddir və \"qan tökülməsinə aparan birbaşa yoldur\". Çin, Meksika və Türkiyə də cənab Maduro-ya arxa çıxıb. ABŞ Dövlət Katibi Mike Pompeo isə BMT Təhlükəsizlik Şurasının toplanması təklifini irəli sürüb. Amerika Ştatları Təşkilatlarının (OAS) görüşündə o, cənab Maduro-nun hökumətini \"mənən müflis\" və \"qeyri-demokratik əsaslı\" kimi təsvir edib. BMT-nin Milli Təhlükəsizlik üzrə müşaviri John Bolton deyib ki, Trump administrasiyası hazırda yeri açıqlanmayan cənab Guaido-ya maddi vəsait ötürmək planı üzərində işləyir. İğtişaşlarla bağlı suala prezident Trump \"bütün variantlar göz önündədir\" deyə cavab verib. Guaido nə deyib? Cənab Guaido və müttəfiqləri cənab Maduro-nu saxta seçkilər vasitəsilə hakimiyyətdə qalmaqda ittiham edirlər. \"Bizim əsas vəzifəmiz azad seçkiləri təmin etməkdir və ən tez bir zamanda bunu istəyirik. Amma diktator rejimində yaşayırıq,\" cənab Guadio ABŞ-ın ispan dilli televiziya kanalı Univision-a deyib. Bundan əvvəl isə o, Financial Times qəzetinə söyləmişdi: \"Siyasi forma nə olursa olsun, heç kim bu cür yaşamaq istəmir: insanlar beş və ya altı ay evlərinə su gəlmədən, dərman və yemək almağa pulu çatmadan yaşayırlar\". Cənab Maduro barəsində mümkün amnistiyanı müzakirə edən cənab Guaido deyib ki, oxşar addım Çilinin demokratiyaya keçidində böyük rol oynayıb. \"Bu əfvlər yalnız konstitusional qaydanı bərpa edənlər üçün hazırdır,\" o söyləyib. Cənab Guadio (ortada) Venesuelanın hərbçiləri və sivil liderlərinə əfv təklifi edir. Seçkinin saxtalaşdırıldığını əsas tutan cənab Guadio daha əvvəl bildirib ki, konstitusiya ona hakimiyyəti müvəqqəti əlində cəmləmək imkanı verir. Qalmaqal necə böyüyüb? Çərşənbə günü cənab Maduro-ya qarşı böyük etiraz mitinqləri baş tutub. Eləcə də onu dəstəkləyən aksiyalar da keçirilib. Karakasda baş tutan bir etirazda cənab Guadio özünü ölkənin müvəqqəti prezidenti elan edib. Cəmi bir neçə dəqiqə ərzində cənab Trump cənab Guaido-nu Venesuelanın qanuni rəhbəri kimi tanıyıb. Bir sıra Cənubi Amerika dövlətləri, eyni zamanda Kanada və BK da ABŞ-ın izi ilə gedib. Cənab Maduro ABŞ-ın şərhlərini \"böyük təxribat\" və \"dağılmış diplomatik münasibətlər\" kimi qiymətləndirib. Cümə axşamı günü o, ABŞ-da yerləşən Venesuela səfirliyi və konsulluğunun bağlanması əmrini verib. Lakin cənab Guaido venesuelalı diplomatların ABŞ-da qalması ilə bağlı çağırış edib. ABŞ Dövlət Departamenti əsas sayılmayan işçilərinin Venesueladan çıxması əmrini verib. Karakasda yerləşən qeyri-hökumət təşkilatlarında biri Sosial Konflikt Müşahidəçisi (Observatory of Social Conflict) deyir ki, bu həftə etirazlarda ən az 26 nəfər öldürülüb. İnsanlar niyə etiraz edir? Cənab Maduro ölkəni 2013-cü ildən idarə edir və bu ayın əvvəli ikinci dəfə and içib. Onun əsas rəqiblərinə prezidentliyə namizədliklərini irəli sürmək qadağan olunmuşdu. Dünyanın ən böyük neft ehtiyatlarına malik ölkəsi sayılan Venesuelanın iqtisadiyyatı artıq bir neçə ildir ki, iflas vəziyyətindədir. Sənaye pis idarədən əziyyət çəkir və neft gəlirləri əhəmiyyətli dərəcədə azalıb. Korrupsiya ilə bağlı ittihamlar da aktualdır. Noyabrda ABŞ məhkəməsi Venesuelanın keçmiş maliyyə rəhbəri Alejandro Andrade-yə pul yuyulması əsasında 10 illik həbs cəzası verib. Prezident insan haqlarına görə daxili müqavimət və davamlı beynəlxalq tənqidlərlə üzləşir. Yüksək inflyasiya, qida və dərman qıtlığı xalq üçün böyük çətinliklər yaradaraq, milyonlarla venesuelalının ölkəsindən qaçmasına səbəb olub. Çin və Rusiya da daxil olmaqla ölkənin strateji tərəfdaşları çətin vəziyyətdə olan iqtisadiyyata ticarət əməliyyatları və kreditlər vasitəsilə yatırımlar ediblər. Moskva Venesuelanı regionda ən yaxın müttəfiqlərindən biri kimi görür."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52493313", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52467524", "doc1": "বার্লিনে চীন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক দেয়াল অঙ্কন। আর যত বেশি বেশি মৃত্যু হচ্ছে, চীনের প্রতি আক্রমণের ভাষা ততই শাণিত করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার রাজনৈতিক মিত্ররা। তাদের কথা - ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের শুরুতে চীন তা গোপন করেছে বলেই এই প্যানডেমিক, এবং এর দায় চীনকে নিতে হবে। দুদিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, চীন এই প্যানডেমিকের জন্য কতটা দায়ী যুক্তরাষ্ট্র তা তদন্ত করবে। গতকাল (বুধবার) রয়টার্স বার্তা সংস্থার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীন তাকে নভেম্বরের নির্বাচনে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। \"তারা (বেইজিং) সবকিছু করবে।\" শুধু আমেরিকা নয়, অস্ট্রেলিয়ার ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গতকাল (বুধবার) করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছেন যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে বেইজিংয়ে। ইউরোপীয় দেশগুলো এখনও ততটা স্পষ্ট করে চীনকে নিয়ে কিছু বলছে না, তবে সন্দেহ নেই যে বাদানুবাদ যত বাড়বে, মেরুকরণও বাড়বে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় নির্বাচনী বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প কিন্তু এই সঙ্কটের মাঝে কেন চীনকে নিয়ে এতটা পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ? অনেক পর্যবেক্ষক এর পেছনে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সংবাদদাতা ডেভিড উইলিস বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলতে চেয়েছেন যে, চীন উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ভাইরাসের কথা অনেকদিন চেপে রেখেছিল যাতে এর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি হেরে যান। মার্কিন পত্র-পত্রিকায় খবর বের হতে শুরু করেছে, যেভাবে সরকার করোনাভাইরাস সামলাচ্ছ তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ-অসন্তোষ তৈরি হয়েছে যার প্রভাব নির্বাচনে পড়তে বাধ্য। অর্থনীতি, কাজের সুযোগ বাড়ানোই ছিল মি. ট্রাম্পের রাজনীতির মুখ্য শক্তি, কিন্তু করোনাভাইরাস প্যানডেমিকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুর্দশা নির্বাচনের বছরে তাকে কোণঠাসা করে ফেলছে। চীন তাকে নির্বাচনে হারাতে চাইছে এই কথা বলার দিনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ একটি নির্বাচনী জরিপ নিয়ে তার পরামর্শকদের বেশ গালমন্দ করেন বলে জানা গেছে। ঐ জরিপে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডা, উইসকনসিন বা অ্যারিজোনার মত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে জেতা মি. ট্রাম্পের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। 'করোনাভাইরাস মোক্ষম সুযোগ' তবে কুয়ালালামপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে চীনকে কম-বেশি ইস্যু করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যে কোন অজুহাতে চীনকে ঘায়েল করা এখন আমেরিকার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে তাদের যে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) গ্রহণ করে, সেখানে চীনকে তারা তাদের প্রধান শত্রু রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে। \"যে কোন সুযোগেই চীনকে কোণঠাসা করা, দুর্বল করার চেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ওয়াশিংটনকে নতুন আরেকটি মোক্ষম সুযোগ এনে দিয়েছে।\" বেইজিং-এ দম্পতির বিয়ের প্রস্তুতি: চীন করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ড. আলী বলেন , সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের যে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নেয়, তাতে পরিষ্কার বলা আছে, আর কোনদিনই বিশ্বের কোথাও তারা এমন কোন শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেবে না যারা আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। \"অনেকদিন ধরেই চীনকে তারা ভবিষ্যতে সেই ধরণের একটি চ্যালেঞ্জ মনে করছে।\" \"বিশেষ করে এখন আমেরিকান প্রশাসনের মধ্যে এমন একটি আশঙ্কা হয়তো দেখা দিয়েছে যে কোভিড-১৯ প্যানডেমিক মোকাবেলায় তাদের দুর্বলতা এবং অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে বিশ্বের কাছে তাদের মর্যাদা, প্রতিপত্তি আরো ক্ষুণ্ণ হবে, এবং সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে চীন।\" কিন্তু মৌখিক যুদ্ধ ছাড়া চীনকে আর কীভাবে শায়েস্তা করতে পারে আমেরিকা? ড মাহমুদ আলী মনে করেন, আমেরিকা তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সাথে নিয়ে চীনকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করতে পারে। আর সেই সাথে সামরিক শক্তির মহড়া দেখিয়ে বেইজিংয়ের ওপর স্নায়ু চাপ বাড়ানোর পথও যে আমেরিকা নিতে পারে তার লক্ষণ এ সপ্তাহেই দেখা গেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগান (ফাইল ফটো)। মঙ্গল এবং বুধবার পরপর দুইদিন দক্ষিণ চীন সাগরের যে এলাকাটির ওপর চীন তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে, মার্কিন নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ সেখানে গিয়ে মহড়া দিয়েছে। চীন কীভাবে চাপ সামালাবে? ড. আলী মনে করেন, কূটনীতিই এখন চীনের কাছে সর্বোত্তম উপায়। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বহুজাতিক ফোরামকে ব্যবহার করে বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোকে সাথে নিয়ে একটা কূটনৈতিক জোট তৈরির পথে যেতে পারে চীন। তাদের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের সাথে ৬০টিরও বেশি দেশ রয়েছে, যাদের সাথে এই কূটনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা করতে পারে চীন। \"তবে চাপের কাছে নতি স্বীকারের মত কোন কিছু আমরা দেখবো না। চীনের রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে আমি একটি মনোভাব স্পষ্ট লক্ষ্য করছি যে তারা বাইরের কোন চাপ আর মেনে নিতে রাজি নন।\" সাম্প্রতিক সময়ে চীনা কূটনীতিকরা যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। তারা খোলাখুলি বলছেন, আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সময়মত ব্যবস্থা নেয়নি এবং সেই ব্যর্থতার দায় চীনের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা ৬ই এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সরকারের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপের একটি টাইমলাইন প্রকাশ করেছে। সেটা দেখিয়ে চীনা সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, কোন কিছুই গোপন করা হয়নি। চীনের সরকারপন্থী দৈনিক 'চায়না ডেইলি' তাদের এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, \"অনর্থক চীনকে দোষারোপ করা বন্ধ করতে হবে আমেরিকাকে। একটি প্যানডেমিক নিয়ে রাজনীতি করলে মানুষের প্রাণহানি বাড়বে ছাড়া অন্য কোন লাভ হবেনা।\" চিংডাও বন্দর: চীনের বানিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বদলে যাবে বিশ্ব বাণিজ্য তবে লন্ডনে অর্থনীতিবিদ ড. মুশতাক খান মনে করছেন, করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের পরিণতিতে ভবিষ্যতে চীনের ওপর পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা যে কমবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। \"চীন ভাইরাসের কথা গোপন রাখুক আর নাই রাখুক সেটা অন্য বিতর্ক, কিন্তু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনের অর্থনীতি যে একটা চাপে পড়তে চলেছে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।\" গত কয়েক দশকে পশ্চিমের দেশগুলো তাদের অনেক অতি-প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্যও চীনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ড. খান মনে করেন, বর্তমান সঙ্কট কেটে গিয়ে অর্থনীতি সচল হওয়া শুরু হলে তখন অনেক দেশই চীনের বদলে অনেক কিছুই নিজেরাই উৎপাদনের পথে যাবে। \"অন্তত তারা তাদের সরবরাহের জন্য শুধু চীনের ওপর ভরসা করবে না। আরো বিকল্প সূত্রের খোঁজ করতে শুরু করবে,'' তিনি বলেন। চীনের জাতীয় আয়ের ৩০ শতাংশই আসে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে। চীন সেখানে বড় ধরণের ধাক্কা খাবে বলে মনে করেন ড. খান। \"এই সঙ্কটের পর পৃথিবী যেভাবে চলছিল সেভাবে যে আর চলবে না সেটা আমি হলফ করে বলতে পারি। চীনকে সেই বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এখনকার মত তাদের প্রবৃদ্ধি হয়তো আট শতাংশ হবে না, হবে পাঁচ শতাংশ।\" করোনাভাইরাস সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কট চীন কীভাবে মোকাবেলার চেষ্টা করবে, তা হয়তো কিছুটা স্পষ্ট হবে যখন ২২শে মে চীনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সভা শুরু হবে।", "doc2": "Bu ölkədə epidemiyadan 58 mindən çox adam ölüb. ABŞ-ın Johns Hopkins Universiteti bildirib ki, ölkədə koronavirusa yoluxma halları 1 milyonu keçib. Dünyada koronavirusa yoluxanların sayı isə 3 milyonu ötüb. Ağ Evin aparıcı tibbi məsləhətçilərindən biri olan Anthony Fauci epidemiyanın bitməsinə hələ çox qaldığı barədə ciddi xəbərdarlıq edib. O deyib ki, tədqiqatçılar effektiv bir müalicə tapa bilmədikdə, ölkəni \"pis payız\" gözləyə bilər. Dr Fauci, virusun geri dönməsinin qaçılmaz olduğunu söyləyib və əlavə edib ki, virus yay boyunca tamamilə yox olmaya da bilər. ABŞ-da bu qədər təsdiqlənmiş yoluxma sayının olması ölkədə Covid-19 testinin çox edildiyi ilə əlaqələndirilir. Bu ölkədə son aylarda 5.7 milyon test edilib. ABŞ Prezidenti Donald Trump deyib ki, bir müddət sonra ölkədə hər gün 5 milyon test edilə bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56425135", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38543418", "doc1": "ভোটের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ায় বা ইরানের সরাসরি যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ মেলেনি। মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে \"বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ\" ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোন সরকারের কোন হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। তবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে একে রাশিয়া এবং ইরানের \"প্রভাব খাটানোর অভিযান\" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট বাইডেন মি. ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন মি. ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে \"বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার\" কাজ করছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইরানের উপর \"সর্বোচ্চ চাপ\" প্রয়োগের নীতি অনুসরণ, ক্ষতিকর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিলেন। ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসলেও \"অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের\" সাথে প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে, ভোটের আগে দেশটি কোন ধরণের \"প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়নি।\" সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রাশিয়ার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে বলা হয়, \"চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাধে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা চায়। আর তাই নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন সেটি প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকির বিপরীতে সুবিধাজনক নয় বলে বিবেচনা করেছে।\" প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং চূড়ান্ত ফল- কোনটাই বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হল যখন দেশটির বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যৌথ তদন্তের ফলও একই রকম পাওয়ার কথা জানানো হয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, \"রাশিয়া এবং ইরানের প্রচারণা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল যারা কিছু নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপস আপস করেছিল যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করেছিল।\" তবে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রভাব বিস্তার করার এসব প্রচেষ্টার সবই ছিল পরোক্ষ। নথিগুলোতে বলা হয়, \"ভোট প্রক্রিয়ার কোন কারিগরি বিষয় বদলে ফেলে ভোটার নিবন্ধন, ব্যালটে ভোটদান, ভোট গণনা কিংবা ফল ঘোষণা, কোন বিষয়েই বিদেশী কোন শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন কোন ইঙ্গিত আমাদের কাছে নেই...\" গত বছরের অগাস্টে মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি বলেছিল যে, চীন, রাশিয়া এবং ইরান আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। তদন্তে উঠে আসে যে রাশিয়া মি. বাইডেনকে কলঙ্কিত করতে চাইছিল। আর চীন এবং ইরান মি. ট্রাম্পের পরাজয় চেয়েছিল।", "doc2": "Məxfiliyi açılmış hesabatda deyilir ki, Rusiya lideri seçkini təsirləndirmək məqsədilə aparılan kampaniyaya \"əmr\" verib. Moskva hələlik reaksiya verməyib, lakin Rusiya əvvəllər bu iddiaları rədd edib. Cənab Trump kəşfiyyatın tapıntıları ilə tanış edildikdən sonra, Rusiyanı müdaxiləyə görə tənqid etməyib, lakin bildirib ki, müdaxilə seçkinin nəticəsini təsirləndirməyib. Bunun ardınca cənab Trump Demokratik Partiyanın Milli Komitəsini haker müdaxiləsinə \"imkan verdiyinə\" görə səhlənkaralıqda günahlandırıb. Bu hesabatın ardınca ABŞ-ın Daxili Təhlükəszilik Nazirliyi bidlirib ki, bundan sonra seçki maşınları və başqa seçki məlumat bankları \"mühüm infrastruktur\" kimi təsnif ediləcək və bu avadanlıq kiberhücumlardan daha etibarlı qorunacaq. 25 səhifəlik hesabatda deyilir ki, Kreml \"aşkar şəkildə\" Trump-ın qələbəsini istəyib. Sənəddə bildirlir ki, Rusiyanın məqsədləri ABŞ-ın demokratik prosesinə \"ictimai inamı sarsıtmaq\" və Trump-ın demokrat rəqibi Hillary Clinton-u \"qaralayaraq\" onun seçilməsinə və potensial prezidentliyinə ziyan vurmaq olub. \"Bizim təhlilimizə görə Rusiya prezidenti Vladimri Putin 2016-cı ildə ABŞ prezident seçkisini təsirləndirmək məqsədilə kampaniyanın aparılmasını əmr edib\" - deyilir hesabatda. Sənədin məxfiliyi açılmış versiyasında cənab Putinin iddia edilən rolu barədə təfərrüatlı dəlillər yoxdur, lakin bildirilir ki, Rusiyanın hərəkətləri aşağıdakılardan ibarət olub: Hesabatda qeyd olunduğuna əsasən cənab Putin cənab Trump-ı ona görə xoşlayıb ki, o Rusiya və Rusiya lideri ilə işləyəcəyini vəd edib. Bu da qeyd olunur ki, Vladimir Putin İtaliyanın keçmiş baş naziri Silvio Berlusconi və Almaniyanın keçmiş kansleri Gerhard Schroeder kimi Rusiyada biznes maraqları olan Qərb siyasi liderləri ilə \"müsbət iş təcrübəsinə\" malikdir. Bunun tam əksi olaraq cənab Putin xanım Clinton-u 2011 və 2012-ci ildə Rusiyada baş vermis antihökumət etirazlarını qızışdırmaqda ittiham edirdi, hesabatda deyilir. Bu da qeyd olunur ki, haker müdaxiləsində iştirak etmiş Rusiya agentlərinin adları ABŞ hakimiyyət orqanlarına məlumdur, lakin açıqlanmır. Məxfiliyi açılmış hesabat prezident Barack Obamaya təqdim edilmiş daha geniş və tamamilə məxfi hesabatın qısa versiyasıdır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55593123", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region/2014/03/140328_turkey_youtube_blocked", "doc1": "বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ক্ষত সারানোর এবং সমঝোতার‘ কারণ, বুধবার ক্যাপিটলে অর্থাৎ মার্কিন কংগ্রেস ভবনে তার সমর্থকদের নজিরবিহীন তাণ্ডব চলার সময় যে ভিডিও বার্তা এবং টুইট তিনি পোস্ট করেছিলেন - তার সাথে গতকালের বার্তার সুর ও বক্তব্য ছিল অনেকটাই আলাদা। ওয়াশিংটনের বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপলের ভাষায়, ‘ইউ টার্ন‘ অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মি. ট্রাম্প যেন উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন। গতকাল তিনি মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ২০ জানুয়ারিতে “মসৃণভাবে নিয়মমতো“ নতুন প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে ক্ষত সারানোর এবং সমঝোতার।“ বুধবারের তাণ্ডবে অংশ নেওয়া সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে তার কড়া ভাষার ব্যবহারে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্য সব আমেরিকানের মত তিনিও “অরাজকতা এবং ভাঙচুর“ দেখে ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। মি. ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার গণতন্ত্রের পীঠস্থানে“ এই “ঘৃণ্য হামলার“ সাথে যারা জড়িত ছিল - তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। অথচ তার ২৪ ঘণ্টা আগে তার ভিডিও বিবৃতিতে এই সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন “তোমরা স্পেশাল“ এবং “আমি তোমাদের ভালোবাসি।“ ওয়াশিংটনে একজন ট্রাম্প সমর্থক, জানুয়ারি ৬, ২০২১ সেই সাথে ঐ দিনই তিনি টুইট করেছিলেন, “যখন মহান দেশপ্রেমিকদের কাছ থেকে পবিত্র এবং বিপুল একটি নির্বাচনী বিজয় জঘন্য-ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তার পরিণতিতে এমন ঘটনাই ঘটে।“ অর্থাৎ পরোক্ষভাবে তিনি কংগ্রেস ভবনে ঐ তাণ্ডবকে সমর্থন করেন। যে কারণে টুইটার এবং ফেসবুক তার অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়। চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ভাষা ও ভঙ্গির এই বদলে প্রেসিডেন্টের কট্টর সমর্থকরা হয়ত বিস্মিত হচ্ছেন, ক্ষুব্ধ হচেছন। বিশেষ করে যারা বুধবার - তার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই হয়তো - ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করার সাহস দেখিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গতকালের বিবৃতির পর অনেক বিশ্লেষক বলছেন, নভেম্বর নির্বাচনের পর এই প্রথম তিনি পরোক্ষভাবে পরাজয় স্বীকার করলেন। যদিও মুখে তিনি তা বলেননি এবং একবারও জো বাইডেনের নাম বা তার তার বিজয়ের কথা মুখে আনেননি। প্রশ্ন হচ্ছে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুর বদলালেন? ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির জন সোপল বলছেন, দুটো সম্ভাব্য কারণ হতে পারে : এক, কংগ্রেস জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে অনুমোদন করার পর মি. ট্রাম্প এখন বুঝতে পেরে গেছেন যে ফলাফল বদলানোর আর কোনো চেষ্টাই কাজ করবে না। তাই আপাতত ক্ষান্ত দিয়ে হোয়াইট হাউজ পরবর্তী কৌশল নিয়ে ভাবতে চাইছেন তিনি। ক্যাপিটল ভবনের ভেতর একদল ট্রাম্প সমর্থক, ০৬/০১/২০২১ দ্বিতীয় কারণ, বুধবারের ঘটনার পর নিজের দল এবং প্রশাসনের কাছ থেকে যে চাপ তার ওপর তৈরি হয়েছে তাতে সুর বদল করা ছাড়া কোনো বিকল্প হয়ত তার সামনে এখন নেই। প্রেসিডেন্টর “আচরণের“ প্রতিবাদে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সহ দল এবং প্রশাসনের যেসব ব্যক্তি গত চার বছর ধরে তার সুরে কথা বলেছেন, তাদের অনেকেই তার কথা শুনছেন না। জন সোপল বলছেন, বিশেষ করে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী উত্থাপন করে তাকে ক্ষমতাচ্যূত করার কথাবার্তা নিয়ে মি. ট্রাম্প হয়ত ঘাবড়ে গেছেন। অবশ্য মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ইমপিচমেন্ট বা সংবিধানের ২৫ সংশোধনী এনে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব নয়। কিন্তু তার সরকারের ভেতর থেকেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো উদ্যোগও তার শাসনামলের ওপর একটি কলঙ্ক হিসাবে থেকে যেত যেটা হয়ত মি. ট্রাম্প চাইছেন না। বিক্ষোভাকরীদের মিছিল করে ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা \"ঘরে ফিরে যান''। বিবিসির ঐ সংবাদাদাতা সোপল বলেন, বৃহস্পতিবারের বিবৃতর ভাষা, ভাষণ দেওয়ার ধরণ প্রমাণ করে ভেতর থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন।“আপনি যদি ভিডিওটি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন মি ট্রাম্প লেখা একটি বিবৃতি হুবহু পড়ার চেষ্টা করছেন। কেউ যেন তাকে বলে দিয়েছে যা লেখা আছে তা হুবহু পড়তে হবে। অনেকটা জিম্মিদেরকে যেভাবে বিবৃতি দেওয়ানো হয়, তেমন। ... বোঝাই যায় তিনি এমন সব শব্দ বলছেন, যেটা তিনি বলতে চাননা।“ ২০২৪ সালে ফেরার ইঙ্গিত তবে অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, মি. ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠজনেরা হয়ত একটি কৌশল হিসাবেই রণে ভঙ্গ দেওয়ার পথ নিয়েছেন। তার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে তিনি মি. ট্রাম্প বলেন, “আমার অসামান্য সমর্থকবৃন্দ আমি জানি আপনারা হতাশ, কিন্তু আমি বলতে চাই আমাদের যাত্রা সবে শুরু হলো।“ জন সোপল বলছেন, “মি. ট্রাম্প হয়ত ইঙ্গিত দিলেন রাজনীতি থেকে তিনি সরে যাচ্ছেন না। চার বছর পর নির্বাচনে তিনি আবার আসবেন।“ এমন সম্ভাবনা কথার বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে খোলাখুলি আলোচনা হচ্ছে। নিজে না হলেও মি. ট্রাম্পের পর তার পরিবারের কোনো সদস্য হয়তো ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ২০২৪ সালে সেই সম্ভাব্য উত্তরসূরি মি. ট্রাম্পের মেয়ে ইভাংকার কথা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কানাঘুষা চলছে। ক্যাপিটলে তাণ্ডবের সময় ইভাংকা ট্রাম্প হামলাকারীদের ‘দেশপ্রেমিক‘ বর্ণনা করে টুইট করেছিলেন যা কিছুক্ষণ পর তিনি মুছে ফেলেন। হেরে গেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোট পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নির্বাচনে পরাজিত কোনো প্রার্থী এত ভোট কখনই পাননি। অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, করোনাভাইরাস দুর্যোগ সৃষ্টি না হলে, তিনি হেসে-খেলে জিতে যেতেন। গতকাল জনমত জরীপ সংস্থা ইউগভের এক জরীপ বলছে, ৪৫ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার মনে করেন - বুধবার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা সঠিক ছিল। দলের মূল ভোটারদের মধ্যে তার অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তার কারণেই হয়ত রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বের বিরাট অংশ এখনও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস করছেন না। বুধবার ক্যাপিটল হিলে এমন তাণ্ডবের পরও জো বাইডেনের নির্বাচনী ফলাফল অনুমোদনের সময় কংগ্রেসের ১২০ জনেরও বেশি রিপাবলিকান সদস্য আপত্তি জানিয়েছেন। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে তারা বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত এখনকার মত রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ,অপ্রচলিত, এবং লড়াকু রাজনীতি - আর রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তার বিপুল জনপ্রিয়তা যে অচিরেই উধাও হয়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। আরও পড়তে পারেন: আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় বিশ্ব নেতাদের নিন্দার ঝড় আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? মার্কিন কংগ্রেস ভবনের ভেতরে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?", "doc2": "Hakimiyyətin Twitter-ə girişi bağlamaq qərarı Türkiyədə şiddətli etirazlara səbəb olmuşdu Türkiyə Telekommunikasiya İdarəsinə əsasən, \"işin hüquqi araşdırılmasından və texniki analizdən sonra sayta qarşı inzibati tədbirlər tətbiq edilib\". Portalın bloklanması haqqında məlumat ziddiyyətlidir: bəzi Türkiyə istifadəçiləri YouTube-yə girişin bağlı olduğunu bildirir, eyni zamanda başqaları portalın işində heç bir dəyişiklik müşahidə etmədiklərini deyirlər. Bununla belə, portalın sahibi olan Google şirkəti Türkiyə ərazisində bir çox istifadəçilər üçün YouTube saytına girişin bağlı olması faktı təsdiqləyib. “Bizdə heç bir texniki nasazlıq baş verməyib və biz vəziyyəti öyrənirik”, - Google nümayəndəsi deyib. \"Cinayətkarlıq və fırıldaqçılıq\" Bundan əvvəl, deyilənə görə, guya Türkiyə XİN başçısı, müdafiə nazirinin müavini və Türkiyə kəşfiyyatının rəhbəri arasında Suriyada hərbi əməliyyatlar imkanının müzakirəsini əks etdirən audioyazısı YouTube saytına yerləşdirilmişdi. Türkiyənin cənub-şərqində seçkiqabağı çıxışı zamanı Türkiyənin baş naziri Recep Tayyip Erdoğanın bəyanatı yazının həqiqiliyini ehtimal etməyə əsas verir. “Onlar hətta milli təhlükəsizlik üzrə görüşü gizli yazıblar. Bu, cinayətkarlıqdır, fırıldaqçılıqdır... Onlar, belə bir mühüm görüşü yazarkən, kimə xidmət edirlər?” – Erdoğan deyib. Türkiyə baş naziri Twitter-in başlanmasını fəal surətdə dəstəkləyib və ölkə ərazisində başqa sosial şəbəkələri bağlamaqla təhdid edib. Twitter Türkiyədə ötən cümə günü bloklanıb. Baş nazirin dəftərxanası bildirmişdi ki, Twitter Türkiyə məhkəməsinin bəzi keçidləri silmək qərarına heç cürə münasibət bildirməyib, bu da Türkiyə hakimiyyətini saytı bağlamağa məcbur edib. Söhbət ilk növbədə cənab Erdoğanın ünvanına korrupsiya ittihamlarından gedir. Erdoğan sosial şəbəkələrə qarşı Türkiyə sosial şəbəkələrinin təqiblərə məruz qalmasının təşəbbüskarı Baş nazir Erdoğandır. O, sosial şəbəkələrdə peyda olan məlumatın dezinformasiya olduğunu israr edir. “Mən başa düşmürəm, sağlam düşüncəli insanlar bu, yalanla dolu Facebook, YouTube və Twitter-ləri necə müdafiə edə bilirlər”, - bu yaxınlarda seçkiqabağı çıxışında Recep Tayyip Erdoğan bəyan edib. Sosial şəbəkələrdə Erdoğanı artıq dəfələrlə korrupsiyada ittiham ediblər. Bir müddət öncə YouTube-də baş nazirin oğlu ilə iri məbləğdə puldan necə azad olmaq haqqında söhbəti çap olunmuşdu. O zaman cənab Erdoğan audioyazının montaj olunduğunu bildirib, lakin onun gerçəkliyini təkzib etməmişdi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48918895", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48904983", "doc1": "চীনে নিখোঁজ শিশুদের ছবি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, সংখ্যালঘু উইগর মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক শিশুর বাবা-মা হয় জেলে, না হয় ক্যাম্পে বন্দী আছেন। পাশাপাশি উইগর মুসলিম শিশুদের জন্য বোর্ডিং স্কুল তৈরির জন্য দেশটিতে ব্যাপক ভিত্তিতে একটি প্রচারণা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, শিশুদেরকে তাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। আরো পড়তে পারেন: মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীনের মুসলিম বন্দী শিবিরগুলো এখন 'বৈধ' রবিবারে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, \"শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। মোটেও না।\" কিন্তু বিবিসি এর আগে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছে যে, শিনজিয়াং-এর একটি এলাকাতেই ৪০০ এর অধিক শিশু বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, উগ্রবাদকে মোকাবেলা করতে উইগর সম্পদ্রায়ের সদস্যদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা যায় যে, এমনকি নিজের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নামাজ পড়া বা হিজাব পড়া বা তুরস্কে কারো সাথে যোগাযোগ থাকার কারণেও অনেককে আটক করা হচ্ছে। চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। এই ব্যবস্থায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাবা-মাকে আটক করার পর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে শিশুটিকে 'সেন্ট্রালাইজ কেয়ার' বা কেন্দ্রীয় পরিচর্যার আওতায় নেয়া হবে কিনা। শিনজিয়াং-এর স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব শিশুর বাবা-মাকে আটক করা হয় তাদেরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই শিশুদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এবং এই শিশুদেরকে ভালোভাবে দেখ-ভাল করার নির্দেশ দেয়া হয়। শিশুদেরকে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এই বিষয়টি নিয়ে বিবিসির হয়ে গবেষণা করেছেন যেই ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ। তিনি বলেছেন, বোর্ডিং স্কুলগুলোতে মূলত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোকে সাংস্কৃতিকভাবে রি-ইঞ্জিনিয়ারিং বা নতুন করে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়। তার এর মতে, বোর্ডিং স্কুলে রাখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত শিনজিয়াং -এর সরকার এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করছে যারা নিজের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেড়ে উঠছে। উইগর সম্পদ্রায়ের হাজার হাজার মানুষ তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে, কেউ নিজের পরিবারের সদস্যদের দেখতে আর কেউ-বা পাড়ি জমিয়েছেন ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে।", "doc2": "Missing in China; some of the family portraits handed to us in Turkey by Uighur parents looking for information about their children back home in Xinjiang Yüz minlərlə insanın nəhəng düşərgələrdə həbs edildiyi bir vaxtda, internat məktəblərin tikilməsi üçün genişmiqyaslı kampaniyalar həyata keçirilir. BBC ictimaiyyət üçün açıq olan sənədlərdən istifadə edərək və xaricdə yaşayan ailə üzvlərindən müsahibələr almaqla bu bölgədəki uşaqların həyatı ilə bağlı ətraflı məlumat toplamağa çalışıb. Məlum olub ki, təkcə bir qəsəbədə 400-dən çox uşağın hər iki valideyni ya düşərgəyə, ya da həbsxanaya göndərilib. Sincanın yetkin yaşına çatmış sakinlərinin kimliklərini dəyişdirmə cəhdləri ilə yanaşı, uşaqların da öz köklərindən uzaqlaşdırılması siyasətinin həyata keçirildiyi aydın olub. Hotan uşaq bağçasında da bir sıra digərləri kimi yüksək təhlükəsizlik tədbirləri görülüb Sərt nəzarətin həyata keçirildiyi Çinin Sincan əyalətində xarici jurnalistlər izləndiyi üçün burada şahidlərdən müsahibə almaq mümkünsüzdür. Lakin bu cür müsahibələri Türkiyədə həyata keçirmək mümkündür. İstanbulda yerləşən böyük bir zalda onlarla insan öz hekayələrini danışmaq üçün növbəyə düzülüblər. Onların bəziləri indi Sincanda qalmış uşaqların fotolarını saxlayırlar. \"Bilmirəm indi onlara kim baxır\", üç azyaşlı qızının şəklini göstərən ana deyir. \"Onlarla heç bir əlaqəm yoxdur\". Üç oğlu və qızının fotosunu saxlayan digər bir ana isə göz yaşlarını saxlaya bilmir. \"Eşitmişəm ki, onları yetimlər üçün sığınacağa yerləşdiriblər\", o deyir. 60 müxtəlif müsahibənin ardından narahat və kədərli valideynlər və digər qohumları Sincanda yüzdən çox uşağın yoxa çıxdığını bildirilər. Uyğur kişilər Sincanda qəzet oxuyur (2015) Onlar uyğurlardır - Sincanın ən böyük, müsəlman etnik qrupu. Onlar həm dil, həm də inanc baxımından özlərini Türkiyəyə yaxın bilirlər. Minlərlə uyğur təhsil almaq, işləmək, ailələrini ziyarət etmək və ya Çinin uşaq doğuşuna nəzarət sistemindən yaxa qurtarmaq və artan dini repressiyalardan qaçmaq üçün məhz bu ölkəyə üz tutub. Lakin son üç ildə Çin yüz minlərlə uyğuru və digər azlıqları nəhəng düşərgələrdə həbs etməyə başlayandan bəri bu insanlar geri qayıda bilmirlər. Çin rəsmilərinin bildirdiyinə görə, uyğurlar zorakı dini ekstremizmə qarşı təşkil edilmiş \"peşəkar təlim mərkəzlərində\" təhsil alırlar. Lakin əldə olunan sübutlara əsasən bir çoxları sadəcə öz inanclarını ifadə etdikləri üçün - ibadət etdikləri və ya hicab geyindikləri - və ya Türkiyə kimi ölkələrdə əlaqələrinin olduğuna görə həbs ediliblər. Bu uyğurların öz ölkələrinə qayıtması onların potensial həbsi deməkdir. İndi Sincanda yaşayan insanların xaricdə yaşayan qohumları ilə telefonla danışması belə çox təhlükəlidir. Arvadı həbs olunmuş səkkiz uşaq atasının bildirdiyinə görə, o, indi uşaqlarının Çin dövlətinin nəzarətində olduğuna inanır. \"Məncə onları indi uşaq təhsil düşərgəsinə aparıblar\", o deyir. BBC tərəfindən həyata keçirilən yeni tədqiqat bu və minlərlə digər uşaqlara nə baş verdiyini üzə çıxarıb. Almaniyadan olan Dr Adrian Zenz Çinin Sincanda müsəlmanları kütləvi həbsini ifşa etməsi ilə tanınır. Onun ictimaiyyət üçün açıq olan rəsmi sənədlərə əsaslanan məruzəsi Sincanda məktəblərin görünməmiş genişləndirilməsi siyasətinə işıq salır. Düşərgələr genişləndirilib, yeni yataqxanalar tikilib və həcmi kütləvi şəkildə artırılıb. Dövlət həbs düşərgələri tikməklə yanaşı, uşaqlara nəzarət gücünü də artırır. Aydın olur ki, hədəfdə təkcə bir etnik qrup var. Təkcə bir ildə, 2017-ci ildə Sincan əyalətində uşaq bağçasına götürülmüş uşaqların sayı yarım milyonu keçib. Dövlətin rəsmi sənədlərinə əsasən bu artımın 90 faizini uyğurlar və digər müsəlman azlıqlar təşkil edir. Nəticədə isə Sincan məktəbəqədər tərbiyə müəssisələrinə qəbul Çində ən yüksək yerə qalxıb. Yalnız Sincanın cənubunda, uyğurların ən çox saxlandığı bölgədə, hökumət uşaq bağçalarının tikintisinə və təmirinə 1.2 milyard dollar xərcləyib. Cənab Zenz-in təhlilinə əsasən, bu tikinti bumu əlavə böyük yataqxanaların tikintisini də nəzərdə tutur. Youyi uşaq bağçası 700 uşaq üçün nəzərdə tutulub. Onlardan 80 faizi Sintszyanın milli azlıqlarını təmsil edir Aydın olur ki, Sincandakı bu təhsil genişləndirməsi siyasəti yetkinlik yaşına çatmış insanların həbsi ilə paralel həyata keçirilir. Bu isə valideynlərinin düşərgələrdə saxlanıb-saxlanılmamasından asılı olmayaraq demək olar ki, bütün uşaqları əhatə edir. 2018-ci ildə Sincanın cənubundakı Yeçen şəhərində iki yeni internat məktəbinin tikintisinə başlanıb. Interactive Use the slider button to see how the school has developed May 2019 April 2018 Yuxarıdakı şəkildə diyircəyi hərəkət etdirməklə tikinti prosesini izləmək mümkündür. İki nəhəng orta məktəbi futbol meydançası ayırır və onlar təxminən bir il bundan əvvəl tikilib. Keçən ilin aprel ayında əyalət rəhbərliyi ətraf kəndlərdən 2000 uşağı yeni tikilmiş 4 nömrəli Yeçen orta məktəbinə köçürüb. Dövlət internat məktəblərini \"sosial stabillik və sülhün qarantı\" kimi təbliğ edir. Cənab Zenz isə iddia edir ki, əslində buradakı məqsəd daha dərindir. \"İnternat məktəbləri azsaylı xalqların mədəniyyətlərinin yenidən formalaşdırılması üçün ideal zəmin yaradır\", o bildirir. Onun araşdırmalarına görə, düşərgələrlə yanaşı, indi uyğur və digər yerli dillərin də məktəblərdən uzaqlaşdırılmasına çalışılır. Təhsil qaydalarına əsasən, şagird və ya müəllimlərin məktəbdə çin dilindən başqa dillərdə danışmasına görə ciddi cəza tədbirləri nəzərdə tutulub. Rəsmi bəyanatlara əsasən, artıq Sincanın bütün məktəblərində tam çin dili təhsilinə nail olunub. BBC-ə danışan Sincanın Təbliğat Departamentinin rəsmisi Xu Guixiang valideynsiz qalmış çoxlu sayda uşağın dövlət tərəfindən himayəyə götürülməsini təkzib edib. \"Əgər bütün ailə üzvləri peşə təlimlərinə göndəriliblərsə onda bu ailənin ciddi problemləri var\", o gülərək deyir. \"Mən heç vaxt belə halla qarşılaşmamışam\". Lakin cənab Zenz-in tədqiqatında yəqin ki, ən vacib məqam, həbs olunmuş şəxslərin övladlarının internat məktəblərinə göndərildiyi və onların sayının çox olduğunu göstərən dəlillərdir. Yerli hakimiyyətin valideynləri təlimlərə göndərilmiş və ya həbsdə olan uşaqların himayəyə götürülməsi ilə bağlı təfərrüatların yer aldığı anketlər mövcuddur. Cənab Zenz-in aşkar etdiyi bir rəsmi sənəddə \"ər və arvadın peşə təlimlərinə göndərildiyi\" ailələr də daxil olmaqla, \"ehtiyacı olan qruplara\" bağlı təfərrüatlı məlumatlar var. Qaşqar şəhəri tərəfindən təhsil şöbələrinə ünvanlanmış sərəncamda, valideynləri düşərgələrdə olan şagirdlərin ehtiyaclarını qarşılamaq üçün təcili tədbirlərin görülməsi tapşırılır. Məktəblər \"psixoloji məsləhət xidmətini\" gücləndirməli və \"şagirdlərin fikirlərinin formalaşması ilə bağlı təhsili inkişaf etdirməlidir\", sərəncamda deyilir. Bu ifadə həmçinin onların valideynlərinin qaldığı düşərgələrdə də əks-səda edir. Görünür uşaqların kütləvi halda valideynlərindən təcrid edilməsi artıq ciddi sosial problemə çevrilib və bununla bağlı bəzi tədbirlər görülür. Lakin hakimiyyət bu məsələnin ictimailəşdirilməsində maraqlı deyil. Mövzu ilə bağlı bəzi rəsmi sənədlərin axtarış saytlarında bilərəkdən gizlədildiyi məlum olub. Bəzi hallarda böyüklərin həbs edildiyi düşərgələrin yanında uşaq bağçaları da tikilib və Çinin dövlət mediası bu halı tərifləyən xəbərlər yayıb. Bu internat məktəbləri azlıqların uşaqlarına \"daha yaxşı vərdişlərə\" yiyələnməkdə kömək olur və evdəkindən daha təmiz mühit vəd edir, xəbərlərdə belə deyilir. Bəzi uşaqlar öz müəllimələrinə \"ana\" deyə müraciət etməyə başlayıblar. Biz Sincan əyalətindəki bir sıra yerli təhsil şöbələrinə zəng edərək mövzu ilə bağlı rəsmi mövqeni öyrənməyə çalışmışıq. Onlardan bir çoxu bizimlə danışmaqdan imtina edib, lakin bəziləri sistem haqqında qısa məlumat verməyə razılaşıb. Bir rəsmidən valideynləri düşərgələrdə olan uşaqların vəziyyətini maraqlandıq. \"Onlar internat məktəbləri deyil\", o cavab verdi. \"Biz onları ev, yemək və paltarla təmin edirik… və yuxarıdan bizə tapşırılıb ki, onlara yaxşı baxaq\". Xotan şəhərində uşaq bağçası, məftil arxasında İstanbuldakı zalda insanlar öz hekayətlərini bölüşdükcə bir ümidsizlik və dərin qəzəb də ortaya çıxır. \"Minlərlə günahsız uşaq öz valideynlərindən ayrı düşüb və biz də elə hey bu barədə danışırıq\", bir ana mənə danışır. \"Niyə dünya bütün bunları bilərək susur?\" Araşdırmaya görə, Sincanda indi bütün uşaqlar \"sərt təcrid tədbirlərinin\" görüldüyü məktəblərdə təhsil alırlar. Bir çox məktəblərdə müşahidə sistemi, xəbərdarlıq siqnalı və 10 000 volt gücündə elektrikli hasarlar quraşdırılıb. Bu tədbirlər 2017-ci ilin əvvəllərindən, həbslərin sayının sürətlə artmağa başladığı vaxtda həyata keçirilməyə başlayıb. \"Məncə, valideynlərin öz uşaqlarından sistemli şəkildə ayrı saxlanması onu göstərir ki, Sintszyan hökuməti öz köklərindən, dini inanclarından və dillərindən qopmuş yeni nəsil yetişdirmək istəyir\", cənab Zenz hesab edir. \"Bütün bunlar mədəni soyqırımdan xəbər verir\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45714070", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-45705760", "doc1": "অন্ত্রকে মানবদেহের \"দ্বিতীয় মস্তিষ্ক\" হিসেবে ডাকা হয়। সম্ভবত \"অন্ত্র\" আপনার প্রথম উত্তর ছিল না। কিন্তু সত্যি হচ্ছে, আমাদের অন্ত্র লাখো নিউরনের সঙ্গে সংযুক্ত, যে কারণে অন্ত্রকে মানবদেহের \"দ্বিতীয় মস্তিষ্ক\" হিসেবে ডাকা হয়। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কাজ শুধুমাত্র খাবার দাবার শোষণ করা নয়, বরং এর-চাইতেও আরও বেশি কিছু। আমাদের শরীরে যে পরিমাণ রোগজীবাণু রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নির্ভর করে কিনা সে বিষয়ে এখনও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার জেনে নেয়া যাক অন্ত্র সংক্রান্ত কিছু বিস্ময়কর তথ্য: ১. অন্ত্রের রয়েছে স্বাধীন স্নায়ুতন্ত্র: পুষ্টিবিদ ডা. মেগান রসি বলেছেন, \" শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের তুলনায় আমাদের অন্ত্র স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এটি মস্তিষ্কের কোন কোন সাহায্য ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। \" এবিষয়ে আরো পড়তে পারেন: কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন রোজ কতটা খাবার খাওয়া উচিত? অন্ত্রের রয়েছে স্বাধীন স্নায়ুতন্ত্র। আরও পড়তে পারেন: কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন কীভাবে বাঁধাকপি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে পিতামাতার ধূমপানেও কি আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে ডা. মেগান রসি একাধারে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এবং অন্ত্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি বইও লিখেছেন। অন্ত্রের এই স্বাধীনভাবে কাজ করাকে অভ্যন্তরীণ স্নায়ুতন্ত্র (ইএনএস) বলা হয়, যেটা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের (সিএনএস) একটি শাখা। যার কাজ শুধুমাত্র পরিপাকতন্ত্রের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এই পুরো ব্যবস্থাটা নিউরনের সমন্বয়ে তৈরি একটি নেটওয়ার্কের মতো কাজ করে। যেটা পাকস্থলী ও হজম-ক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত। অন্ত্রের এই অভ্যন্তরীণ স্নায়ুতন্ত্র মূলত সিম্প্যথেটিক ও প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ২. আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অন্ত্রের ভূমিকা: ডাঃ রসি'র মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পেছনে অন্ত্রের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা আমাদের রোগ প্রতিরোধক কোষের ৭০% অন্ত্রের ভিতরে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাগুলো, সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খালেদা বা তারেক প্রশ্ন 'নির্বাচনী ঐক্যের শর্ত নয়' চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে ‘একটা বই নিয়ে এত ভয় কেন?' বিচারপতি সিনহা আপনার নিউরন শুধু মস্তিষ্কে নেই। অন্ত্রেও রয়েছে। ৩. কতোবার টয়লেট হওয়া স্বাভাবিক? আমাদের শরীরের বর্জ্য শুধুমাত্র খাদ্যের অবশিষ্টাংশ নয়। বরং এর ৫০% জুড়ে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া। এরমধ্যে এমন সব ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যেটা কিনা আমাদের শরীরের জন্য আসলেই উপকারী। এ কারণে, যাদের অন্ত্রে \"খারাপ\" ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিকাল ট্রান্সপ্লান্ট একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে। এই চিকিৎসা স্টুল ট্রান্সপ্লান্ট বা মল প্রতিস্থাপন হিসেবেও পরিচিত। এটি এমন এক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া যেখানে একজন সুস্থ মানুষের শরীর থেকে মলের ব্যাকটেরিয়া অসুস্থ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে ডাঃ রসির কাছে জানতে চাওয়া হয় আমাদের দিনে কয়বার টয়লেটে যাওয়া উচিত?। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনবার থেকে শুরু করে সপ্তাহে তিনবার টয়লেট হওয়া গবেষণায় স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। ৪. অন্ত্র সুস্থতায় খাদ্য নির্বাচন: আমাদের অন্ত্রে রয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন জীবাণুর বসতি। এই জীবাণুগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ কেননা তারা নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিকর উপাদান হজম করতে সাহায্য করে। অন্ত্র ঠিক রাখতে খেতে হবে নানা ধরণের খাবার। প্রতিটি মাইক্রোবায়াল গ্রুপ একেক ধরণের খাবারের উপর কাজ করে। তাই বিভিন্ন বৈচিত্র্যের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, যা আমাদের আরও সুস্থ হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। \"আমি বলতে চাই যে মাইক্রোবসরা আমাদের অভ্যন্তরীণ পোষা প্রাণীর মতো, আপনি যার যত্ন নিতে এবং লালন পালন করতে চান,\" বলেছেন ডাঃ রসি। যারা সবসময় একই ধরণে খাবার খায় তাদের অন্ত্রের জীবাণুগুলো এতোটা সক্রিয় বা শক্তিশালী থাকেনা। ৫. অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আপনার মেজাজ মর্জি: ডাঃ রসি বলেছেন যে আপনার যদি অন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আপনি কতোটা মানসিক চাপে আছেন সেটা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন: \"ডাক্তারি অনুশীলনে থাকাকালে আমি সবসময় আমার রোগীদের দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ধ্যান করার পরামর্শ দিতাম। চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ধ্যান করায় এক পর্যায়ে এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হতো। এবং এতে তাদের অন্ত্রের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়। \"তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।\" ভাল ব্যাটেরিয়াযুক্ত খাবারের উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের অন্ত্রের সঙ্গে মেজাজ যুক্ত থাকার পেছনে একটি সাধারণ কারণ হল, আমাদের পরিপাকতন্ত্রে আনুমানিক ৮০% থেকে ৯০% সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়। সেরোটোনিন এক ধরণের রাসায়নিক বার্তাবাহক যার সঙ্গে আমাদের পরিপাক ক্রিয়া থেকে শুরু করে মানসিক রোগ সংক্রান্ত শরীরের নানা কার্যক্রম জড়িত। এক কথায় সেরোটোনিনের নি:সরণের ওপর নির্ভর করে আমাদের মেজাজ ভাল থাকা, না থাকা। দীর্ঘমেয়াদী চাপ শরীরে সেরোটোনিন নি:সরণের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে যা আমাদের মন মেজাজ, উদ্বেগের মাত্রা এবং সুখের মতো মানসিক অবস্থা প্রভাবিত করতে পারে। পশু এবং মানুষের ওপর আগের গবেষণাগুলো থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, বিষণ্ণতাসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর অন্ত্রে মাইক্রোবায়াল গোলযোগ পাওয়া গেছে। সাইকোবায়োটিক্সের ওপর নতুন একটি গবেষণা চলছে। যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সুস্থ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট ধরণের খাবারের প্রতি ভয় শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ৬. বিশ্বাসের নেতিবাচক প্রভাব: যদি আপনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে কয়েক ধরণের খাবার আপনার জন্য খারাপ, তাহলে আপনার এ সংক্রান্ত নেতিবাচক উপসর্গ দেখা দেবে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ধরণের খাবার খেতে ভয় পাওয়া শুরু করেন তবে সেটি খাওয়ার সময় আপনার উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। কেননা কিছু মানুষের পাকস্থলী বেশ সংবেদনশীল। ডাঃ রসি বলেন, \"আমার ক্লিনিকে আমি প্রতিনিয়ত দেখেছি যে একটা বিশ্বাস কিভাবে অন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে\"। অনেকে বিশ্বাস করে যে গ্লুটেন বা ল্যাকটোস তাদের জন্য খারাপ হবে, বাস্তবে তাদের ওইসব খাবারে এলার্জি বা অসহিষ্ণুতা না থাকলেও শুধুমাত্র বিশ্বাসের কারণে সেগুলো খাওয়ার পরে তারা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ৭. আপনি চাইলেই পারেন পরিপাক স্বাস্থ্য উন্নত করতে: ডঃ রসি কিছু অভ্যাস তালিকাভুক্ত করেছেন। যা পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য মেনে চলা প্রয়োজন। সেগুলো হল:", "doc2": "Ekspertlərə görə, bağırsaq öz işini beyindən əmrlər almadan da görə bilir Siz bəlkə də bağırsağı dilə gətirməyəcəksiniz. Lakin bizim bağırsaqlarımızı milyonlarla neyron örtür, bu səbəbdən də bağırsağa \"ikinci beyin\" deyirlər. Bizim həzm sistemimizin fəaliyyət dairəsi təkcə yediyimiz yeməklərlə məhdudlaşmır. Bağırsaqda yaşayan mikroblar bizim əhval-ruhiyyəmizə təsir edə bilər. Alimlər bizim bağırsağımızın durumu ilə immun sistemi və psixiki sağlamlığımızın pozulması halları arasında bağlılığı öyrənilər. Bağırsaqlarımız haqqında gözlənilməz faktlar: Avtonom sinir sistemi Bizim bağırsağımızda trilyonlarla yaşayan bakteriyalar yediklərimizi həzm etməyə kömək edir \"Digər orqanlardan fərqli olaraq bizim bağırsağımız öz-özünə fəaliyyət göstərə bilir. Bağırsaq beyindən asılı olmayaraq qərarlar qəbul edə bilər və necə fəaliyyət göstərməsi üçün beyindən gələn əmrlərsiz də keçinə bilər\", - bağırsaq salamlığı üzrə doktor Megan Rossi deyir. Mərkəzi sinir sisteminin (CNS) bir hissəsi olan və bağırsağın həzm sisteminə cavabdeh olan avtonom idrak qarın sinir sistemi (ENS) adlanır, Sistem qarını və həzm sistemini bürüyən və neyronlardan inbarət tora bənziyir. ENS normal hallarda CNS ilə əlaqəni simpatik və parasimpatik sinir sistemi vasitəsilə qurur. İmmun sistemimizin təxminən 70 faizi bağırsaqlarımızdadır Neyronlarınız yalnız beyninizdə deyil Doktor Rossi qeyd edir ki, bizim bağırsağımızın sağlamlığı immun sistemimizin yaxşı işləməsi üçün vacibdir. Onun sözlərinə görə, son araşdırmalar göstərir ki, həzm-bağırsaq sistemində problemlər qrip, soyuqdəymə kimi xəstəliklərə qarşı müqaviməti zəiflədir. Nəcisimizin 50 faizi bakteriyalardır Bizim bədənimizdən çıxan tullantı təkcə yemək qalıqlarından ibarət deyil. Nəcisin içində aşkar edilən bir çox bakteriyalar bədənəmiz üçün faydalıdır. Bu səbəbdən, nəcisin transplantasiyası bağırsaqlarında həddən çox \"pis\" bakteriyaları olanların müalicəsi üçün həyati əhəmiyyət daşıya bilər. \"Stool transplantı\" adlanan müalicə üsulu nəcis bakteriyalarını sağlam adamdan xəstəyə köçürülməsindən ibarətdir. Mözu ilə bağlı, doktor Rossidən gündə tualetə neçə dəfə getmək lazım olduğunu da soruşduq. O deyib ki, araşdırmaların nəticələrinə əsasən gündə üç dəfədən həftədə üç dəfəyədək normal sayılır. Yeməklərin çeşidliyi bağırsaqdakı mikroblar üçün faydalıdır Bağırsağınızdakı bakteriyalar üçün yeməklərin çeşidli olması xeyirlidir Bizim bağırsağımızda trilyonlarla mikrob var. Onlar qidalı maddələrin həzm olunmasına kömək edir. Müxtəlif mikroblar qrupu müxtəlif ərzaq növlərinə öyrəşib, odur ki, yeməklərin çeşidliyi bağırsağı daha sağlam edir. Doktor Rossi qeyd edir ki, həmişə eyni yemək yeyənlərin bağırsağında mikroblar daha zəif olur. Sizin əhval-ruhiyyəniz və bağırsağınız arasında əlaqə var Doktor Rossi hesab edir ki, bağırsağınızda problem varsa, stressdə olub-olmadığınızı yoxlamağa dəyər. \"Mən pasiyentlərimə 15-20 dəqiqə meditasiya etməyi məsləhət görürəm. Onlar buna vərdiş edəndən sonra, mən onlarda simptomların yaxşılaşdığını görürəm, stressdən azad olmaq olduqca vacibdir\", - o deyir. Araşdırmaların yeni istiqaməti \"yaxşı\" bağırsaq bakteriyaları ilə zəngin oaln yeməklərin öyrənilməsilə bağlıdır Serotoninin 80-90 faizinin həzm sistemimizdə əmələ gəlməsi ovqatımızla bağırsağımız arasında bağlılığın olmasını göstərir. Serotonin bağırsaq da daxil, bədənin müxtəlif funksiyalarını təsirləndirən kimyəvi rabitəçidir. Bu maddə eləcə də psixiki pozuntularla da əlaqələndirilir. Davamlı stress serotoninin səviyyəsini sala bilər və insanın əhval-ruhiyyəsinə, təşviş və xoşbəxtlik hissinə təsir edə bilər. İnsanlar və heyvanlar üzərində keçirilmiş əvvəlki araşdırmalarda depressiya və digər psixiki problemlər yaşayan xəstələrin bağırsağındakı mikrob koloniyalarında pozuntlar aşkar edilib. Araşdırmaların perspektiv istiqaməti psixiki sağlamlığın yaxşılaşdırılması üçün sağlam bağırsaq bakteriyalar qarışığından - \"psixobiotiklərdən\" - istifadə olunması ilə bağlıdır. Əgər siz hansısa yeməkdən çəkinirsinizsə, onu yeməklə özünüzə problemlər yarada bilərsiniz, doktor Rossi deyir Bəzi qidaların sizin üçün pis olduğunu düşünürsünüzsə, siz bunu hiss etməyə başlaya bilərsiniz Bəzi insanların bağırsağı həssas olur. Doktor Rossiyə görə, son araşdırmalar göstərib ki, əgər siz müəyyən növ yeməklərdən çəkinirsinizsə, həmin yeməyi yeyərkən sizdə simptomlar əmələ gəlməyə başlaya bilər. \"Yeməyə münasibətin bağırsaqda necə problem yaratdığını klinikamda görə bilirəm\", - o deyir. Xeyli sayda adam hesab edir ki, qlüten və ya laktoza onlar üçün zərərlidir. Hətta əslində onların həmin maddələrə allergiyası və ya dözümsüzlüyü olmayanda da belə, onlar bu qidaları qəbul edəndən sonra problemlər yaşayırlar. Siz həzm sisteminizi yaxşılaşdıra bilərsiniz Doktor Rossi bağırsağınızın sağlam qalması üçün aşağıdakıları məsləhət görür:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50152694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-50154533", "doc1": "উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান। তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে অতি সম্প্রতি তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করেছে। তো এখন কোন কোন দেশ তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং এর ফলে তারা এখন কার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে? কারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে? ইউরোপের ন'টি দেশ তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। দেশগুলো হচ্ছে: চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্য। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কানাডাও। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখবে ব্রিটেন, কিন্তু অস্ত্র রপ্তানির জন্যে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না কারণ এসব অস্ত্র সিরিয়ায় তুর্কী সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হতে পারে। জার্মানি ও স্পেন বলছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা শুধু নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করেনি। তবে এই জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে নিজেদের দেশের কঠোর নীতি গ্রহণের পক্ষে একমত হয়েছেন। \"এই অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার তেমন বড় কোন প্রভাব পড়বে না, আঙ্কারার সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে,\" বলেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইওভন্নি-স্টেফানিয়া এফস্থাতিও। \"তবে সিরিয়ায় ব্যবহার করা হতে পারে এমন অস্ত্রের বাইরেও যদি নিষেধাজ্ঞাকে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে সেটা তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে,\" বলেন তিনি। তুরস্কের কাছে কারা অস্ত্র সরবরাহ করে? ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তুরস্ক ছিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অস্ত্র আমদানীকারক দেশ। ঐতিহাসিকভাবে অস্ত্রের জন্যে তুরস্ক মূলত নির্ভর করতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তার নেটো মিত্রদের কাছে। তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করতো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির কাছে যতো অস্ত্র বিক্রি করা হয়েছে তার ৬০% করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইউরোপের যেসব দেশ তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে সেগুলো হচ্ছে: ফ্রান্স, স্পেন এবং ব্রিটেন। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে তুরস্কে যখন সামরিক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষমতা ছিল তখন দেশটির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির হার রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক, জাহাজসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি যা তুরস্কের সামরিক বাহিনী এখনও ব্যবহার করছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার জন্যে তুরস্ক সম্প্রতি ঝুঁকেছে রাশিয়ার দিকে। ইতোমধ্যে মস্কোর কাছ থেকে ২৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ও করেছে আঙ্কারা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তুরস্কেরই নিজেদের জোট নেটো। তারা বলছে, তুরস্ক যদি নেটোর শত্রু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করে তাহলে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, কারণ নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে তুরস্কের সামরিক বাহিনীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কাছে তাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান এফ-৩৫ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি ট্রাম্পের চিঠি ‘ডাস্টবিনে ফেলে দিলেন' এরদোয়ান তুরস্ক কি আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? তুরস্কের ভৌগলিক অবস্থা এমন যে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার রাডার ব্যবস্থাও। এমনকি তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে নেটোর কমান্ড অপারেশনও পরিচালিত হচ্ছে। তুরস্কের আদানা শহরের কাছে একটি বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি পরমাণু বোমাও মোতায়েন করা রয়েছে। তুরস্কের নিজস্ব অস্ত্র গত এক দশকে তুরস্ক দেশের ভেতরেও অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে। তাদের উদ্দেশ্য বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরতা কমানো। তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু সম্প্রতি বলেছেন যে \"তুরস্ক এখন তাদের সামরিক সরঞ্জামাদির ৭০% নিজেরাই তৈরি করে। একই সাথে তুরস্ক এখন প্রচুর অস্ত্র রপ্তানিও করে।\" প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইওভন্নি-স্টেফানিয়া এফস্থাতিও বলেছেন, \"দেশটির সামরিক চাহিদা তারা নিজেরাই কতোটা মেটাতে পারছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা সহজ নয়।\" ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে তুরস্কের অস্ত্র রপ্তানি ১৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তুরস্ক ছিল রপ্তানিকারকদের তালিকার ১৪ নম্বরে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানের কাছেই তারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাজ্যে একটি লরি থেকে ৩৯ মৃতদেহ উদ্ধার ভারত সফরের ক্যাম্পে আসেনি কোনো ক্রিকেটার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও অব্যাহতি", "doc2": "Suriyanın şimalında Türkiyənin hərbi əməliyyatı \"terror dəhlizinin yaradılmasının qarşısını almaq\" məqsədi daşıyır. Türkiyənin əsas silah təchizatçıları ənənəvi olaraq ABŞ və Avropa olub, lakin son zamanlarda Türkiyə raket müdafiə sistemini Rusiyadan alıb. Görəsən, qadağa hansı ölkələr tərəfindən qoyulub və bu, Türkiyəni haradan silah əldə etməyə məcbur edir? Qadağaları kim qoyub? Doqquz Avropa ölkəsi Türkiyəyə silah satışına nəzarət tətbiq edib. Çex Respublikası, Finlandiya, Fransa, Almaniya, İtaliya, Hollandiya, İspaniya, İsveç və Britaniya Kanada ilə birlikdə Türkiyəyə silah ixracı lisenziyasının təsdiqlənməsini dayandırdıqlarını və ya məhdudlaşdırdıqlarını bildiriblər. Britaniya Xarici İşlər Naziri Dominic Raab, İngiltərənin Türkiyəyə silah satışını davam etdirəcəyini, lakin Suriyada hərbi əməliyyatlarda istifadə edilə biləcək silahlara yeni ixrac lisenziyasının verilməyəcəyini bildirib. Almaniya və İspaniya onlarının embarqosunun yalnız yeni müqavilələrə şamil edildiyini bildiriblər. Avropa İttifaqı bir qurum olaraq Aİ tərəfindən embarqonun rəsmi sürətdə elan edilməsini dəstəkləməyib, lakin xarici işlər nazirləri Aİ ölkələri tərəfindən \"Türkiyəyə silah ixracı siyasətiylə bağlı qətiyyətli milli mövqe\" nümayiş etdirilməsi barədə razılığa gəliblər. \"Ankara əməliyyatı davam etdirəcəyi təqdirdə silah sanksiyalarının buna böyük bir təsir göstərəcəyi gözlənilmir\", - müdafiə təhlilçisi Yvonni-Stefania Efstathiou deyib. Lakin \"sanksiyalar yalnız Suriyada istifadə edilə bilən silahlarla məhdudlaşmasa, bunun Türkiyənin bütövlükdə müdafiə sənayesinə mənfi təsir ola bilər\", - o deyib. Türkiyənin əsas silah təchizatçısı kimlərdir? 1991-2017 illərdə Türkiyə dünyanın beşinci ən böyük silah idxalçısı idi. Türkiyə müdafiə və təhlükəsizlik ehtiyaclarının təmin edilməsini tarixən ABŞ və Avropadakı NATO müttəfiqlərinə etibar edib. ABŞ Türkiyəyə ən böyük silah ixracatçısı olub, 2014-2018 illərdə ümumi idxalın 60 faizini təmin edib. Avropa ölkələri arasında Fransa, İspaniya və İngiltərə əsas təchizatçılar olub. Türkiyədə 1980-1990-cı illərin hərbiyyənin nəzarət etdiyi hökümətləri dövründə ABŞ-dan silah idxalı rekord həddə çatmışdı. Türkiyə döyüş təyyarələri, raketlər, helikopterlər, tanklar, gəmilər və hələ də Türkiyə hərbiyyəsi tərəfindən istifadə olunan digər silah növləri əldə edib. Lakin Türkiyə bu yaxınlarda 2,5 milyard dollarlıq raket müdafiə sisteminin alınması üçün Rusiyaya müraciət edib. Onun bu addımı Türkiyənin NATO müttəfiqlərini həyəcanlandırıb. Onlar hesab edirlər ki, NATO-nun müdafiə sisteminə inteqrasiya olunmuş Türkiyənin S-400 sistemini NATO rəqibindən alması alyansın təhlükəsizliyini əhəmiyyətli dərəcədə poza bilər. Türkiyə Rusiyadan S-400 raket müdafiə sistemini alıb ABŞ buna cavab olaraq Türkiyəyə dünyanın ən qabaqcıl döyüş təyyarəsi sayılan F-35 hərbi təyyarələrini satmamağa qərar verdi. Mühüm geostrateji mövqeyinə görə, Türkiyə ərazisində bir neçə ABŞ və NATO bazası yerləşir, o cümlədən ölkənin şərqində NATO komandanlığının əməliyyatlara nəzarət qərargahı və raket hücumundan erkən hərbi xəbərdarlıq radarı var. Eyni zamanda Türkiyənin cənubunda, Adana şəhəri yaxınlığındakı İncirlik aviabazasında təxminən 50-dək ABŞ nüvə bombası saxlanılır. Türkiyəninöz silah sənayesi Türkiyə xarici təchizatçılardan asılılığını azaltmaq üçün son 10 ildə ölkənin silah sənayesini əhəmiyyətli dərəcədə inkişaf etdirib. Türkiyənin xarici işlər naziri Mevlüt Çavuşoğlu bir müddət əvvəl bildirmişdi ki, Türkiyə indi öz hərbi texnikasının \"70 faizdən çoxunu özü istehsal edir\" və eyni zamanda mühüm silah ixracatçısıdır. \"Türkiyənin müdafiə sənayesinin milli hərbi ehtiyaclarını nə dərəcədə təmin etdiyini dəqiq qiymətləndirmək asan deyil, - müdafiə təhlilçisi Yvonni-Stefania Efstathiou deyir. - Türkiyənin yerli adlandırdığı silah sistemləri, adətən, əslində lisenziya və ya idxal edilən komponetlər əsasında istehsal olunur\". 2014-2018 illər arasında Türkiyə silah ixracatını 170% artırıb. 2018-ci ildə Türkiyə sayca 14-cü ən böyük silah ixracatçısı olub və onun silah məhsulunun əsas alıcıları Səudiyyə Ərəbistanı, BƏƏ və Türkmənistan olublar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48752749", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40566774", "doc1": "সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তাবরেজ আনসারিকে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে দেখা যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝাড়খন্ডে ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারি নির্যাতিত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান। তাবরেজ আনসারির বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ এনে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাবরেজকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে যেখানে দেখা যায় যে তাকে হিন্দু দেবতাদের নাম নিতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং তিনি জীবন ভিক্ষা চাচ্ছেন। তাবরেজের পরিবারের অভিযোগ, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও পুলিশ তাকে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করেনি। আরো পড়ুন: কী দাঁড়াতে পারে ভারতে মুসলিমদের পরিণতি? লোকসভায় কেন বিজেপির কোনও মুসলিম এমপি নেই? বেদের মেয়ে জোৎস্নার নায়িকা ভারতীয় না বাংলাদেশী বিবিসি'কে তার স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন জানান, মিঃ আনসারিকে সারারাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয় এবং পরদিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের চারদিন পর তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মিজ পারভিন বলেন, হিন্দু দেবতাদের প্রশংসা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরই তাকে নির্যাতন করা শুরু হয়। তবে ঝাড়খন্ডের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত কয়েকবছরে ঝাড়খন্ডে বেশ কয়েকটি গনপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।", "doc2": "Dehli yaxınlığında yerləşən Ğaziabad şəhərinin polis rəsmisi Rupesh Singh-in BBC-ə bildirdiyinə görə, Ashok Kumar şənbə günü axşam evə sərxoş vəziyyətdə gələrək, arvadı ilə yemək üstündə mübahisə edib. Mübahisə zamanı ərinin tapançadan açdığı atəş nəticəsində başından güllə yarası alan 55 yaşlı Sunaina hospitala çatdırılsa da, onun həyatını xilas etmək mümkün olmayıb. Kumar törətdiyi cinayəti boynuna alaraq öz əməlindən təəssüfləndiyini bildirib. \"O, hər gün içirdi. Şəhbə günü də evə içib gəlmişdi. Arvadı ilə mübahisə edib. Arvad ərinin evə gündə içib gəldiyindən narazı idi və bu barədə danışmaq istəyirdi. Lakin o, arvaddan yemək gətirməsini istəyirdi\", - Singh deyib. Polis nümayəndəsinin sözlərinə görə, kişi yeməyin gecikdirilməsindən qəzəblənib arvadının başına tapançadan atəş açıb. Ev zorakılığı Hindistanda son 10 il ərzində qadınlara qarşı ən çox qeydə alınan cinayət növüdür. BBC müxbirinin sözlərinə görə, ev zorakılığı təkcə Hindistan problemi olmasa da, məhz Hindistanda tez-tez ört-basdır edilir. Bunun səbəblərindən biri kimi, ölkənin ictimai fikrində ərin arvadını döyməsinə müəyyən hallarda haqq qazandırılmasıdır. Hökümətin sifarişi ilə keçirilmiş sorğunun nəticələrinə əsasən, kişilərin 54%-dən çoxu və qadınların 51%-dən çoxu hesab edir ki, əgər ərin valideynlərinə hörmətsizlik edilirsə və ya evə və uşaqlara arvad tərəfindən qayğı göstərilmirsə, o zaman arvadın döyülməsinə haqq qazandırıla bilər. Bəzi respondentlər isə arvadın ər tərəfindən döyülməsinə haqq qazandıran səbəblər cərgəsinə hətta yeməyin duzunun az və ya çox olmasını da əlavə edirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43403167", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43398700", "doc1": "কেজিবির সাবেক গুপ্তচর সার্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া। সলসবারি শহরে একজন সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট দিয়ে আক্রমণের ঘটনার পর মিসেস মে এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ঐ ২৩ জন কূটনীতিক প্রকৃতপক্ষে গোয়েন্দা কর্মকর্তা, এবং তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ছেড়ে যেতে হবে। বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অ্যাংলো-রুশ সম্পর্কের এতটা অবনতি এর আগে কখনও ঘটেনি। ব্রিটেনে কেজিবির সাবেক গুপ্তচর কর্নেল সার্গেই স্ক্রিপাল এবং তার কন্যার ওপর স্নায়ু-বিধ্বংসী কেমিকেল এজেন্ট দিয়ে হামলার নিন্দা করে মিসেস মে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রুশ দূতাবাসের এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ, নেটো এবং ইয়োরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও সেটা কী হবে, সে সম্পর্কে তিনি এখনই কোন ইংগিত দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে নেটো কর্নেল স্ক্রিপালের ওপর ওই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে ব্রিটেনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ অভিযোগ করেছেন, ব্রিটেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আরও দেখুন: নেপালে ট্যুর বাতিল করছে আতঙ্কিত যাত্রীরা 'চড়ুইপাখি মরে গেলে ক'দিন খায়নি পৃথুলা' ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ উইকেট পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি টেরিজা মে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।", "doc2": "66 yaşlı Sergey Skripal və onun 33 yaşlı qızı Yuliya kritik vəziyyətdə hospitala yerləşdiriliblər. Theresa May-in sözlərinə görə, bir həftə ərzində Britaniyanı tərk etməli olacaq diplomatların \"elan olunmamış kəşfiyyatçı\" olduqları müəyyən edilib. Rusiya, Salisbury şəhərində keçmiş kəşfiyyatçı Sergey Skripal və onun qızı Yuliyanın qətlə yetirmək cəhdində iştirakını inkar edir. Rusiya Theresa May-in ötən gecəyırısınadək verdiyi möhlət bitənədək bu işlə bağlı əməkdaşlığa başlamaq şərtinə əməl etməyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51321473", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51279455", "doc1": "বেইজিং বিমানবন্দরে যাত্রীরা প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক পরেন। \"চীনে কী হচ্ছে সেটার জন্য এই ঘোষণা দেয়া হয়নি বরং অন্যান্য দেশে যা ঘটছে সেটাই এই ঘোষণার মূল কারণ, \" ডব্লিউএইচও- এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন। উদ্বেগ রয়েছে যে এই ভাইরাস দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের বলেছে তারা যেন চীনে ভ্রমণ করতে না যায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর চার স্তরের সতর্কতা জারি করেছে - এর আগে আমেরিকানদের চীনে ভ্রমণের বিষয়টি \"পুনর্বিবেচনা\" করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে যে চীনে যেসব মার্কিন নাগরিক আছে তারা যেন সতর্ক থাকেন। চীনে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২১৩ জনের। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে, অন্যান্য ১৮টি দেশে আরও ৯৮জন মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে চীনের বাইরে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি। চীনের বাইরের দেশের যতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগ চীনের উহার শহরে ছিলেন, যেখান থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তবে জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষে মানুষে-ভাইরাস সংক্রমণের আটটি ঘটনা ঘটেছে। ডব্লিউএইচও- এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস আরও পড়তে পারেন: কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস 'উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিমান প্রস্তুত' যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ড. টেড্রোস ভাইরাসটিকে একটি \"অভূতপূর্ব প্রাদুর্ভাব\" হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যাকে গিয়ে প্রতিক্রিয়াও \"অভূতপূর্ব\"। তিনি চীনা কর্তৃপক্ষের \"অসাধারণ পদক্ষেপ\" গ্রহণের প্রশংসা করেন এবং বলেছেন যে চীনে বাণিজ্য বা ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করার কোনও কারণ নেই। \"একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলি, এই ঘোষণাটি চীনের প্রতি অবিশ্বাস বা অনাস্থার জন্য নয়,\" তিনি বলেন। তবে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বা ফ্লাইট বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল, আইকা, স্টারবাকস এবং টেসলার মতো সংস্থাগুলি । তারা তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে বা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এই ভাইরাস যদি এমন একটি দেশে প্রবেশ করে যাদের এমন প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার সক্ষমতা নেই, তখন কী হবে? অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে শনাক্ত করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির দেখভাল করার সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। আশঙ্কা হল সেসব দেশে এই ভাইরাস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু সময়ের জন্য বিষয়টি নজরে নাও পড়তে পারে। মনে রাখবেন এটি এমন একটি রোগ যা কেবল গত মাসে উদ্ভূত হয়েছিল - এবং ইতিমধ্যে চীনের প্রায় ১০ হাজার জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়- যা ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব- সেখান থেকে বোঝা যায় যে এইরকম প্রাদুর্ভাব দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর ওপর কত ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। নভেল করোনাভাইরাস যদি এই জায়গাগুলিতে উল্লেখযোগ্য হারে ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অবিশ্বাস্য রকমভাবে কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে নেই - আক্রান্ত হওয়ার ৯৯% ঘটনাই ঘটেছে চীনে। এবং ডব্লিউএইচও এতোটুকু নিশ্চিত হতে পারছে যে দেশটি সেখানকার এই প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে ডব্লিউএইচও নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় তাদের নজরদারি চালাতে পারবে। যেন তাদের রোগ নির্ণয় করার পদ্ধতি জোরদার করা যায় - এবং এ ধরণের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুত করা যায়। বর্তমানে যেখানে যেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে তার একটি মানচিত্র। এই ঘোষণাটি কতটা অস্বাভাবিক? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগেও পাঁচবার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কোন রোগ খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মুখে পড়লে এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। বিশেষ করে যদি এই প্রাদুর্ভাবের এমন বড় কোন ঘটনা ঘটে যা বৈশ্বিক উদ্বেগের সৃষ্টি করে। সোয়াইন ফ্লু, ২০০৯ এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান ভাইরাসটি ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। পোলিও, ২০১৪ ২০১২ সালে পোলিও প্রায় নির্মূলের পর্যায়ে চলে গেলেও ২০১৩ সালে পোলিওর সংখ্যা আবার বেড়ে যায়। জিকা, ২০১৬ আমেরিকা অঞ্চলে জিকা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরে ডব্লিউএইচও ২০১৬ সালে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ইবোলা, ২০১৪ এবং ২০১৯ পশ্চিম আফ্রিকাতে প্রায় ৩০ হাজার লোক সংক্রামিত হওয়ায় এবং ১১,০০০ মানুষ এই ইবোলায় প্রাণ হারানোর কারণে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে আগস্টে। যা ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ডিআর কঙ্গোতে এই প্রাদুর্ভাব পুনরায় ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিম আফ্রিকাতে ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে সেটি ধরতে সময় লেগেছিল। চীন কীভাবে এই মহামারী মোকাবিলা করছে? তিব্বতে একজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হল এই ভাইরাস চীনের মূল ভূখণ্ড প্রতিটি অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন অনুযায়ী ৯,৬৯২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত হয়েছে। প্রায় সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশে। এজন্য সেখানে সবাইকে একপ্রকার আটক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ছয় কোটি মানুষের এই প্রদেশটির উহান শহর থেকে এই প্রাদুর্ভাবের শুরু হয়। শহরটিকে চারিদিক থেকে কার্যকরভাবে আটকে রাখা হয়েছে এবং চীন ভাইরাসটির বিস্তার রোধে পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। হুবেইতে থাকা মানুষদের বলা হয়েছে তারা যেন ঘরের ভেতরে থেকেই সব ধরণের কাজ করেন। যতক্ষণ না পরিস্থিতি তাদের ফিরে আসার জন্য নিরাপদ হচ্ছে। এই ভাইরাসটি চীনের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে, যেটা কিনা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম,। কেননা অনেক দেশ ইতিমধ্যে তাদের নাগরিকদের খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া চীনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিচ্ছে। বিমানের ভেতরে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। অন্যান্য দেশ কীভাবে সাড়া দিচ্ছে? উহান থেকে কয়েক শতাধিক বিদেশী নাগরিককে বের করে আনার কাজ চলছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ড- এই বের করে আনা মানুষদের থেকে সংক্রমন এড়াতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য তাদের আলাদা করে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ১৪ দিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হবে, তাদের কেউ আক্রান্ত কিনা বোঝার জন্য। অস্ট্রেলিয়া তাদের মূল ভূখণ্ড থেকে ২,০০০ কিলোমিটার (১,২০০ মাইল) দূরে ক্রিসমাস দ্বীপের একটি আশ্রয় শিবিরে এই ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের আলাদা করে রাখার পরিকল্পনা করছে। ওই শিবিরটি আশ্রয় প্রত্যাশিদের রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য সাম্প্রতিক ঘটনা: ইতালি রোমে দু'জন চীনা পর্যটক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে চীনে যাওয়ার ফ্লাইট স্থগিত করে ইতালি। এর আগে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে ৬০০০ যাত্রীর নামার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রেপ্রথম কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে , শিকাগোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস সংক্রমণের খবরটি ওই রাজ্য থেকে জানা যায়। প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৭২ ঘন্টার জন্য তাদেরকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আলাদা করে রাখা হয়েছে। রাশিয়া রাশিয়া, তাদের পূর্বদিকে চীনের সাথে ৪,৩০০ কিলোমিটার (২.৬৭০ মাইল) সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপান জাপানের দুটি ফ্লাইট ইতিমধ্যে টোকিওতে অবতরণ করেছে। জাপান এখন চীনের জন্য তাদের সংক্রামক রোগের পরামর্শের স্তর বাড়িয়েছে। ফ্রান্স প্রায় ২৫০জন ফরাসি নাগরিককে উহান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ভারত ভারত ভাইরাসটির প্রথম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে - দক্ষিণে কেরালা রাজ্যের এক ছাত্র যিনি উহান শহরে পড়াশোনা করতেন, তার শরীরে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। ইসরায়েল চীনের সাথে সমস্ত ফ্লাইট সংযোগ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল। পাপুয়া নিউ গিনি পাপুয়া নিউ গিনি, \"এশিয়ান বন্দর\" থেকে সমস্ত ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।", "doc2": "\"Bu qərarın əsas səbəbi Çində yox, digər ölkələrdə baş verənlərdir\", - ÜST rəhbəri Tedros Adhanom Ghebreyesus deyib. Bu virusun daha zəif səhiyyə sistemi olan ölkələrə yayılması narahatlıq doğurur. ABŞ vətəndaşlarına Çinə səyahət etməməyi deyib. ABŞ Çinə səyahətlə bağlı xəbərdarlığın səviyyəsini də yüksəldib. Çində koronavirusdan azı 213 nəfər ölüb, 10 min nəfərə yaxın adam isə bu virusa yoluxub. ÜST bildirib ki, 18 ölkədə 98 yoluxma halı müəyyən edilsə də, ölüm qeydə alınmayıb. Bu ölkələrdə yoluxanların çoxu Çinin virusun yayılmağa başladığı Wuhan şəhərinə səyahət etmiş insanlardır. Bununla yanaşı, Almaniya, Yaponiya, Vyetnam və ABŞ-da virusun insandan-insana yoluxduğu səkkiz hal qeydə alınıb. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı, \"xəstəliyi digər ölkələrə yayma riski daşıyan fövqəladə bir hadisə olduqda\" ictimai səhiyyədə beynəlxalq səviyyəli fövqəladə hal elan edir. Bundan əvvəl beş belə fövqəladə hal elanı olmuşdu: Dünya virusa necə reaksiya verib? Xarici ölkə vətəndaşlarının Çinin Wuhan şəhərindən könüllü təxliyəsi davam edir. Böyük Britaniya, Avstraliya, Cənubi Koreya, Sinqapur, Yeni Zelandiyanın bütün təxliyə olunan insanları yoluxmanın qarşısını almaq məqsədilə əlamətlərin müşahidəsi üçün iki həftə müddətində karantin altında saxlayacağı gözlənilir. Digər son hadisələr:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42081879", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42122598", "doc1": "ইয়ালু নদীর তীরে উত্তর কোরিয়ার একজন নারী সৈনিক বাহিনীর এক সাবেক নারী সেনা আরও জানাচ্ছেন তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই ধর্ষণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক এক ঘটনা! প্রায় দশ বছর ধরে লি সো ইয়নকে শুতে হয়েছিল একটা বাঙ্ক বেডের নিচের তলায়। ঘরটা তাকে শেয়ার করতে হত আরও জনা পঁচিশেক মহিলার সঙ্গে। তাদের প্রত্যেককে নিজস্ব ফৌজি উর্দি রাখার জন্য ছোট একটা ড্রয়ার দেওয়া হত। ড্রয়ারের ওপরে রাখতে হত ফ্রেমে বাঁধানো দুটো করে ফোটোগ্রাফ। তার একটা ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের। দ্বিতীয়টা ছিল তার উত্তরসূরী, এখন প্রয়াত কিম জং-ইলের। এক দশকেরও বেশি হল তিনি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে এসেছেন, কিন্তু সেই কংক্রিট ব্যারাকের প্রতিটা গন্ধ, প্রতিটা স্মৃতি তার এখনও টাটকা। \"আমরা খুব ঘামতাম। যে গদির ওপর আমরা শুতাম, সেটা ছিল ধানের তূষের তৈরি। ফলে আমাদের গায়ের সব গন্ধ সেই গদিতে আটকে থাকত। তুলোর গদি নয় তো, তাই ঘামের গন্ধ ও অন্য সব গন্ধ চিপকে থাকত সেখানে - একবারেই ভাল লাগত না।\" এই অবস্থার একটা বড় কারণ ছিল সেখানে স্নান করা বা কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। \"একজন নারী হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমরা ঠিকঠাক স্নানই করতে পারতাম না\", বলছিলেন লি সো ইয়ন। \"গরম জল তো পেতাম না। পাহাড়ের একটা ধর্নার সঙ্গেই হোসপাইপ জুড়ে দেওয়া হত, সেই হোস দিয়েই আমাদের স্নানের জল আসত। তবে তার সঙ্গেই সেই হোস দিয়ে বেরোত সাপ, ব্যাং ইত্যাদি অনেক কিছু!\" স্কার্ট পরিহিত নারী সেনাদের কুচকাওয়াজ উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত আরও খবর: 'নিষিদ্ধ দেশ' উত্তর কোরিয়ায় কেমন আছে মানুষ? উত্তর কোরিয়ার সৈন্যের অন্ত্রে 'বিশালাকৃতি কৃমি' খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করতে উত্তর কোরিয়ার মানুষ উদ্ভাবন করছে নতুন খাবার উ. কোরিয়ায় কি ধরণের আক্রমণ চালাতে পারে আমেরিকা? এখন ৪১ বছর বয়সী লি সো ইয়নের বাবা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বড় হয়ে উঠেছেন দেশের উত্তরপ্রান্তে। তার পরিবারের অনেক পুরুষ সদস্যই ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৯০র দশকে যখন উত্তর কোরিয়া ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে, তখন সো ইয়ন নিজে থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এগিয়ে আসেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান যে ভাবনাটা কাজ করেছিল তা হল বাহিনীতে দুবেলা অন্তত খাবারের চিন্তা থাকবে না। দেশের আরও অনেক মেয়ে একই কারণে সে সময় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম দিকে অবশ্য দেশপ্রেমের একটা চেতনাও কাজ করেছিল, এবং ১৭ বছরের লি সো ইয়ন বাহিনীতে তার জীবন মোটামুটি উপভোগও করছিলেন। তার জন্য যেভাবে আলাদা করে একটি হেয়ার ড্রায়ার দেওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে সেটা তো তার দারুণ লেগেছিল। কিন্তু যেহেতু প্রায়ই ব্যারাকে বিদ্যুৎ থাকত না, তাই চুল শোকানোর সেই যন্ত্র কাজে লাগত না বললেই চলে। পুরুষ ও নারী সৈনিকদের দৈনন্দিন রুটিন অবশ্য ছিল প্রায় একই ধরনের। তবে নারীদের শারীরিক প্রশিক্ষণের সময়টা ছিল পুরুষদের তুলনায় অল্প কিছুটা কম। কিন্তু তাদের কাপড়চোপড় কাচা, পরিষ্কার করা বা রান্নাবান্নার মতো বেশ কিছু গৃহস্থালির কাজ করতে হত, যা থেকে আবার পুরুষ সৈনিকদের রেহাই ছিল। কিন্তু কঠোর শারীরিক অনুশীলন ও পরিশ্রম, খাবারের রেশনে টান ইত্যাদি নানা কারণে লি সো ইয়ন ও তার সতীর্থ সেনাদের শরীরে প্রভাব পড়তে শুরু করে অল্প দিনের ভেতরেই। \"বাহিনীতে ঢোকার ছমাস থেকে এক বছরের মধ্যে আমাদের আর ঋতুস্রাব হত না। চরম অপুষ্টি আর ভীষণ একটা মানসিক চাপের পরিবেশে থাকতাম বলেই সেরকমটা হয়েছিল।\" \"নারী সৈনিকরা অবশ্য বলত তাদের মাসিক হচ্ছে না বলে তারা খুশি। খুশি, কারণ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে তার ওপর আবার মাসিক হলে তাদের আরও শোচনীয় অবস্থার ভেতর পড়তে হত।\" বাহিনীতে বন্দুকধারী নারী সৈনিকরা লি সো ইয়ন আরও জানাচ্ছেন, মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলো নারী সেনারা কীভাবে পার করবে, তার কোনও ব্যবস্থাই বাহিনীতে ছিল না। এমনও হয়েছে, লি সো ইয়ন ও তার নারী সহকর্মীদের বাধ্য হয়ে অনেক সময় একজনের ব্যবহার করা স্যানিটারি প্যাড আবার অন্য একজনকে ব্যবহার করতে হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে ১৫ দিন পর ডেঙ্গিতে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতাল বিল চাইলো ১৭ লাখ রুপি ওসামা বিন লাদেন তার শেষ সাক্ষাৎকারে কী বলেছিলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরকে যতদূর চোখ যায়, শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা লি সো ইয়ন যদিও স্বেচ্ছাতেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়া নিয়ম করেছে যে ১৮ বছর বয়সের পর সে দেশে সব মেয়েকেই বাধ্যতামূলকভাবে সাত বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার সে সময় এক অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিয়ে ঘোষণা করেছিল যে বাহিনীর বেশির ভাগ নারী ইউনিটেই 'ডেডং' নামে একটি দামী প্রিমিয়ার ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে। ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সে দেশের প্রসাধনী সামগ্রী নির্মাতাদের এমন প্রোডাক্ট তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে তারা ল্যানকমে, শ্যানেল বা ক্রিস্টিয়ান ডিওরের মতো গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এরপর 'পিয়ংইয়ং প্রোডাক্টস' নামে একটি কসমেটিক কোম্পানি সম্প্রতি বিভিন্ন নারী সেনাদের ইউনিটে তাদের কিছু পণ্য বিলি করেছে। তবে তারপরও দেশের গ্রামীণ এলাকায় মোতায়েন বহু নারী সেনার এখনও আলাদা শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পর্যন্ত নেই। গবেষকদের তারা কেউ কেউ জানিয়েছেন, অনেক সময় পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়। এর ফলে তাদের ওপর যৌন হামলার ঝুঁকিও বাড়ে, কিন্তু তাদের কিছু করার থাকে না। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটে ব্যাপক হারে। উত্তর কোরিয়ার বাহিনীতে এক নারী সৈনিক লি সো ইয়ন বলছেন, ১৯৯২ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তিনি যখন সেনাবাহিনীতে ছিলেন তখন তাকে ধর্ষিতা হতে হয়নি ঠিকই, কিন্তু তার অনেক নারী কমরেডকেই সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোম্পানি কমান্ডার নিজের ঘরে বসে থাকতেন ও নিজের অধীনস্থ নারী সেনাদের মধ্যে কাউকে ডেকে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করতেন। এই জিনিস অবিরামভাবে চলত দিনের পর দিন। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করে থাকে তারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কোনও পুরুষ সেনা ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সাত বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। \"কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ধর্ষিতা নারী সেনারা কেউ ভয়ে সাক্ষ্য দিতেই এগিয়ে আসে না। ফলে ধর্ষণকারী পুরুষদেরও কোনও সাজা হয় না কখনওই\", বলছিলেন জুলিয়েট মরিলট নামে এক গবেষক। লি সো ইয়ন সেনাবাহনীর একটি সিগনালস ইউনিটে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যেটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের খুব কাছেই। শেষ পর্যন্ত তিনি বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন ২৮ বছর বয়সে। পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে তার ভালই লেগেছিল - কিন্তু সেনাবাহিনীর বাইরের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও তার কষ্ট হয়েছিল, সেই সঙ্গে ছিল আর্থিক টানাটানি। ২০০৮ সালে তিনি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াতে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রথম প্রচেষ্টার সময় চীনের সীমান্তের কাছে তিনি ধরা পড়ে যান এবং তাকে এক বছরের জন্য একটি বন্দী শিবিরে পাঠানো হয়। সেই জেল থেকে বেরোনোর কয়েকদিন পরেই তিনি দ্বিতীয়বার দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এবারের চেষ্টায় তিনি তুমেন নদী সাঁতরে পাড় হয়ে চীনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে সীমান্তে তার দেখা হয় এক দালালের সঙ্গে। সেই দালালই তাকে চীনের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয়। জুলিয়েট মরিয়ট ও অন্য গবেষকরা বলছেন, অন্যান্য সূত্রে তারা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ভেতরকার অবস্থার যে বর্ণনা শুনতে পেয়েছেন তার সঙ্গে লি সো ইয়নের এই বিবরণ মিলে যাচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যারা পালিয়ে আসেন, তাদের বর্ণনা অনেক সময়ই অতিরঞ্জিত হয় এটাও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। লি সো ইয়ন অবশ্য এই সাক্ষাৎকারের জন্য বিবিসির কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সা নেননি। আমাদের পেজে আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় দন্ডিত বসনিয়ান সাবেক সার্ব কমান্ডার রাতকো ম্লাদিচ গ্রেস মুগাবে: স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি সাভার আর মানিকগঞ্জে মাটির নিচে পানির 'খনি'", "doc2": "Yalu çayı sahilində Şimali koreyalı bir qadın əsgər (2014) Təxminən 10 il əsgər olan və 10 ildən uzun bir müddət əvvəl Şimali Koreyanı tərk edən Lee So Yeon, eyni otağı paylaşdığı 20-dən çox qadınla olan xatirələrini bölüşür. \"Çox tərləyirdik. Döşəklərimiz çəltik qabığından hazırlanmışdı və buna görə də vücudumuzun qoxusu döşəklərə çökürdü. Heç də xoş hal deyildi. \"Ən çətin şeylərdən biri də duş qəbul etmək idi. İsti su yox idi və dağdan gələn suya bağlı bir borunun altında yuyunurduq. Borudan üstümüzə qurbağalar və ilanlar düşürdü.\" Bir universitet professorunun qızı kimi ölkənin şimalında dünyaya göz açan So Yeonun artıq 41 yaşı var. Ailəsindəki bir çox kişilər orduda qulluq edir. O, 1990-cı illərdə ölkədəki quraqlıq səbəbi ilə baş qaldıran qıtlığa görə könüllü əsgər olmaq qərarına gəlir. Hər gün yemək yeyə bilmək üçün bu ən yaxşı variant imiş. O dövrdə minlərlə gənc qadın eyni yolu seçirdi. \"Qıtlıq xüsusilə də qadınlar üçün çox çətin bir dövrə yol açdı,\" Şimal Koreyanın Gizli İnqilabı kitabının müəllifi Jieun Beak deyir. \"Orduya daha çox qadın qoşuldu və beləliklə də, pis münasibət, zorakılıq və təcavüzə məruz qalan qadınların da sayı artdı.\" Şimali Koreyadan qaçanlara nə dərəcədə etibar etmək olar? Jieun Baek, Lee So Yeonun danışdıqlarının daha əvvəl eşitdiyi hekayətlərə oxşar olduğunu söyləyir, lakin Şimali Koreyadan qaçanların sözlərinə şübhə ilə yanaşmaq lazım gəldiyini də vurğulayır. \"Şimali Koreyadan gələn məlumatlara dair böyük bir tələb mövcuddur. Bu vəziyyət ölkədən qaçan insanları mediaya şişirdilmiş hekayətlər danışmağa təşviq edir. Ələlxüsus da müsahibə verdikləri media qurumu onlara pul verirsə. \"Şimali Koreyadan qaçdıqdan sonra, mediaya müsahibə vermək istəməyənlər isə bu \"karyera düşkünlərini\" tənqid edirlər. Bunu unutmamaq lazımdır.\" Bir tərəfdən də Şimali Koreyanın rəsmi qaynaqlarından gələn məlumatlar təbliğatdan başqa bir şey deyil. BBC Lee So Yeonun bu müsahibəsi üçün pul ödəməyib. 17 yaşında orduya qoşulan Lee So Yeon əvvəllərdə ordudakı həyatı bəyənib. Ona hətta, saç feni də verilibmiş. Elektrik enerjisi tez-tez kəsildiyinə görə həmin feni çox işlətmək So Yeona nəsib olmayıb amma. Qadınlar və kişilər üçün olan gündəlik rejimlər demək olar ki eyni imiş. Qadınlara daha az fiziki məşqlər etdirilirmiş. Fəqət kişilərin azad olduğu təmizlik və yemək bişirmək kimi işləri də qadınlar görməli olublar. \"Şimali Koreya ənənəvi bir patriarxal cəmiyyətə malikdir və cinsilərə aid edilən ənənəvi rollar hələ də hökm sürür,\" \"Şimali Koreya 100 Sualda\" kitabının müəllifi Juliette Morillot deyir. \"Qadınlara ttukong unjeongsu, yəni \"qazan qapağı sürücüsü\" olaraq baxılır. Qadınlara \"Aid olduğunuz yer olan mətbəxdə qalın\" deyirlər.\" Çətin məşqlər və azalan yemək rasionları Lee So Yeon və digər əsgərlər üzərində bir müddət sonra təsirini göstərməyə başlayır. \"6 aydan sonra az qidalanma və stressə görə aybaşı olmamağa başladıq,\" So Yeon deyir. \"Bu, qadın əsgərlərin işinə yarayırdı. Çünki aybaşı zamanı daha çox əziyyət çəkirdik. \"Ordu aybaşı olan əsgərlər üçün xüsusi bir şərait yaratmamışdı. Gigiyenik bezlərdən bir dəfədən daha artıq istifadə etməli olurduq. \"Qadın əsgərlər kişilərin gözünə görünməmək üçün səhər tezdən durub, şəxsi gigiyenasının qayğısına qalmağa çalışırdılar.\" Juliette Morillot deyir ki, 20 yaşındakı bir qadın əsgər 2 ildir ki aybaşı olmayıb. Kimlər qaçır? Lee So Yeon orduya könüllü qatılsa da, 2015-ci ildə Şimali Koreya 18 yaşını keçən bütün qadınların əsgərliyə getməsini icbari sayan qanun qəbul edib. Qanuna görə, qadınlar 7, kişilər isə 10 il məcburi əsgərlik çəkməlidirlər. Bir tərəfdən Şimali Koreya hökuməti bir qeyri-adi addım ataraq qadın əsgərlərə Daedong şirkətinə məxsus ən keyfiyyətli gigiyenik bezlər paylayacağını bildirib. Jieun Baek deyir ki, bu, qadınların qarşılaşdıqları çətinlikləri yüngülləşdirmək üçün atılmış bir addım ola bilər. \"Qadınların şəraitinin əziyyətli olduğu düşüncəsinin qarşısını almaq üçün bu addımı ata bilərlər. Qadınların \"Nə yaxşı, bizimlə maraqlanırlar\" deməsi üçün də bu addıma əl atmış ola bilərlər.\" Şimali Koreya lideri Kim Jong-un 2016-cı ildə Şimali Koreyaya məxsus kosmetik vasitələrin Lancome, Chanel və Christian Dior kimi ən məşhur markalarla rəqabət apara biləcəyini vurğulamışdı. Bundan bir az sonra Pyongyang Products adlı lüks kosmetika markasının məhsulları bəzi qadın təyyarəçilərə paylanmışdı. Buna rəğmən, ucqar yerlərdə əsgərlik çəkən qadınların bir qisminin hələ də ayrıca tualeti yoxdur. Morillot ilə söhbət edən bəzi qadınlar bu vəziyyətin onları çıxılmaz halda qoyduğunu, kişilərin gözü qarşısında tualetə getdiklərini və beləliklə, müdafiəsiz qaldıqlarını deyiblər. Şimali Koreyada əsgərlik Şimali Koreyalı qadınlar ən azı 7, kişilər isə 10 il məcburi hərbi xidmətdə olmalıdırlar. Bu, dünyadakı ən uzun icbari xidmətdir. 18-25 yaş arası qadınların 40%-inin orduda xidmət göstərdiyi zənn edilir. Qadınlara əsgərliyin məcburi olması qanunu 2 il əvvəl qüvvəyə mindikdən sonra, sayın gələn illərdə daha da artacağı gözlənilir. Hökumət ölkə büdcəsinin 15%-ni orduya ayırdığını söyləsə də, araşdırma qurumları rəqəmin 40% ola biləcəyini düşünürlər. İdman və ya musiqi kimi sahələrdə üstün bacarıqları olan tələbələr əsgərlikdən azad edilə bilərlər. Həm Baek, həm də Morillota görə, orduda cinsi zorakılığa tez-tez rast gəlmək mümkündür. Morillot deyir ki, təcavüz mövzusunu araşdırmağa başladıqda qadınlar \"başqalarının başına gələn hadisələrdən\" bəhs etsələr də, özlərinin təcavüzə uğramadıqlarını söyləyirmişlər. \"Komandirimiz iş vaxtı başa çatdıqdan sonra, otağında qalar və qadın əsgərlərə təcavüz edərdi. Bu, beləcə davam edərdi.\" Şimali Koreya ordusu isə cinsi təcavüzə ciddi nəzarət etdiyini deyir və təcavüzdə günahkar bilinən kişiləri 7 ilə qədər həbs cəzası gözlədiyini bildirir. Juliette Morillot ümumi olaraq heç kimin ifadə vermək istəmədiyinə görə təcavüzçülərin cəzasız qaldığını söyləyir. \"Eyni zorakılıq mədəniyyəti Cənubi Koreya ordusunda da mövcuddur\" Morillot, cinsi təcavüzlər haqqında səssiz qalınmasının səbəbini \"Şimali Koreya cəmiyyətinin patriarxat olmasında\" görür. Ən müdafiəsiz qadınlar isə yoxsul ailələrdən gələn, inşaat briqadalarında işləyən və kiçik koma və ya daxmalarda saxlanılan qadınlardır. \"Ailə zorakılığı normal qarşılanır və şikayət edilmir. Eyni vəziyyət orduya da hakimdir. \"Bununla yanaşı, eyni zorakılıq mədəniyyətinin Cənubi Koreya ordusunda da mövcudluğunu vurğulamalıyam.\" Lee So Yeon ordudan 28 yaşında ayrılıb. Əvvəl ailəsi ilə daha çox vaxt keçirə biləcəyinə sevinən Yeon, bir müddət sonra, bu həyat ilə ayaqlaşa bilmədiyinin fərqinə varır. 2008-ci ildə isə Şimali Koreyadan qaçmaq qərarına gəlir. Qaçmaq üçün ilk cəhddə Çin sərhədində həbs olunur və bir illik əsir düşərgəsinə göndərilir. Həbsdən çıxdıqdan az müddət sonra, ikinci cəhddə Tümen çayını üzərək Çinə çatır. Sərhəddə onu qarşılayan bir avtomobillə So Yeon, Çindən Cənubi Koreyaya keçir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50997027", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50998846", "doc1": "আমেরিকানদের উপর হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইটকে \"টার্গেট করছে\" এবং \"খুব দ্রুত এবং খুব কঠোরভাবে\" হামলা চালানো হবে। একটি ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান তার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। এই ধারাবাহিকতায় এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিস্টার ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন যে, জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরান \"যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু সম্পদকে টার্গেট করার কথা খুব জোরালোভাবে বলছে।\" তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইট সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি \"শীর্ষস্থানীয় এবং ইরানের সংস্কৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এসব টার্গেট এবং ইরান, খুব দ্রুত খুব কঠোর হামলার মুখে পড়বে\" যদি তেহরান যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করে। \"যুক্তরাষ্ট্র আর কোন হুমকি চায় না,\" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ৫২টি টার্গেট ইরানে বন্দী থাকা ৫২ জন আমেরিকানের প্রতিনিধিত্ব করবে; যারা ১৯৭৯ সালের শেষ দিকে মার্কিন দূতাবাস থেকে আটক হওয়ার পর ইরানে এক বছরের বেশি সময় বন্দী ছিল। তার টুইটের পরেই, মার্কিন সরকারের একটি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যায়। আমেরিকান ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটটি হ্যাক হওয়ার পর সেখানে দাবি করা হয় যে, সেটি ইরান সাইবার নিরাপত্তা গ্রুপের হ্যাকাররা হ্যাক করেছে। এতে বলা হয়: \"ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের পক্ষ থেকে এটি একটি বার্তা।\" \"এলাকায় আমরা আমাদের মিত্রদের সমর্থন করা থেকে পিছপা হব না: ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের শিকার মানুষ, ইয়েমেনে নির্যাতনের শিকার বাসিন্দারা, সিরিয়ার জনগণ ও সরকার, ইরাকের জনগণ ও সরকার, বাহরাইনের নির্যাতিত মানুষ, ফিলিস্তিন ও লেবাননের মুজাহিদি প্রতিরোধ, তাদেরকে আমরা সব সময়ই সমর্থন করবো।\" ওয়েব পেইজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি কার্টুন চরিত্র দেয়া হয় যেখানে তার মুখে আঘাত এবং রক্ত বের হওয়া চিত্রায়িত করা হয়। এরআগে শনিবার কী হয়েছিল? বাগদাদে সোলেইমানির জানাজায় হাজার হাজার মানুষের মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পর এই টুইট করেন মিস্টার ট্রাম্প। গত শুক্রবার বাগদাদেই নিহত হয়েছিলেন সোলেইমানি। মিছিলে শোকাতুর জনতা ইরাক এবং মিলিশিয়াদের পতাকা উড়ায় এবং \"আমেরিকার মৃত্যু\" বলে স্লোগান দেয়। সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হতো। মিছিলের পরপরই ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছেও একটি রকেট হামলা হয়। ইরাকের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, এতে কেউ হতাহত হয়নি। হামলায় জড়িত থাকার কথা এখনো কেউ স্বীকার করেনি। সম্প্রতি অন্যান্য হামলার জন্য ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের দায়ি করা হয়। কুদস বাহিনীর প্রধান কমান্ডারকে হত্যার জবাবে এরইমধ্যে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক করেসপনডেন্ট জোনাথন মার্কাস বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই মনে করছেন যে, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল আগে থেকেই কঠোর শর্তের হার বাড়ানো এবং তেহরান যদি তাদের হুমকি বাস্তবায়ন করে তাহলে তার কী পরিণতি হবে সেটিও আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া। আরো পড়তে পারেন: ইরান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল আসলে কী? সোলেইমানি হত্যার কী প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান? ট্রাম্প বললেন, যুদ্ধ বন্ধ করতেই সোলেইমানিকে হত্যা ট্রাম্পের টুইট নানা কারণেই কৌতূহলোদ্দীপক- তার মধ্যে রয়েছে, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস থেকে ৫২ জন মার্কিন জিম্মির প্রতীকী হিসেবে ইরানের ৫২টি সাইট টার্গেট করা। তার উল্লেখ করা টার্গেট \"ইরানের সংস্কৃতির জন্য\" গুরুত্বপূর্ণ বলতে দেশটির নেতৃত্ব, সামরিক বাহিনী বা অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও আরো বেশি কিছু বোঝানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইরানকে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া ঠেকিয়ে দেবে এমন কোন বাধা বা কারণ প্রতিষ্ঠা করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু বল এখন ইরানের কোর্টে এবং তেহরান কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমেরিকানদের উপর হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তেহরানের সাথে পরমাণু চুক্তি বাতিলের পর থেকেই মিস্টার ট্রাম্প পরস্পরবিরোধী নীতি অনুসরণ করে আসছেন- অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছেন, সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন, কিন্তু আসলে করছেন খুব কম, এমনকি যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যাধুনিক ড্রোন ভূপাতিত করে এবং সৌদি আরবে একটি তেল স্থাপনায় হামলা চালায় তখনও। সর্বোপরি, তিনি বারবার ওই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তার এবং ওয়াশিংটনের অবস্থানকে অবমূল্যায়ন করেছেন। এসব কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধকে দুর্বল করেছে যা মিস্টার ট্রাম্প এখন দেরিতে হলেও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন।", "doc2": "Prezident Trump İrana xəbərdarlıq edib ABŞ prezidenti bu açıqlamanı İran generalı Qasım Süleymaninin ABŞ tərəfindən İraqda öldürülməsindən sonra verib. Süleymaninin öldürülməsi iki ölkə arasında böyük bir gərginliyin yaranmasına səbəb olub və İran Süleymaninin \"qisasının alınacağını\" vəd edib. Twitter-də yazan prezident Trump İranı \"ABŞ-ın müəyyən obyektlərini hədəfə aldığı haqqında çox cəsarətlə danışmaqda\" günahlandırıb. O, ABŞ-ın \"İran və İran mədəniyyəti üçün çox böyük əhəmiyyət kəsb edən\" 52 obyektin müəyyən edildiyini bildirib və Tehranın ABŞ-a zərbə endirəcəyi təqdirdə həmin obyektlərin \"ÇOX SÜRƏTLƏ VƏ AĞIR ZƏRBƏYLƏ\" vurulacağı barədə xəbərdarlıq edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53128363", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-53130539", "doc1": "জেফ্রি স্যাক্স বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন মহামারির পর \"নেতৃত্ববিহীন এক বিশ্বে বিশাল একটা টালমাটাল পরিস্থিতির\" দিকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন দুই পরাশক্তির মধ্যে মতভেদ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক মি. স্যাক্স আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এই বৈরিতার জন্য আমেরিকান প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। বিবিসির এশিয়া বিজনেস ইউনিটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, \"আমেরিকা বিভাজন সৃষ্টিকারী একটা শক্তি, সহাযোগিতার নয়।\" \"চীনের সাথে নতুন করে একটা শীতল যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে আমেরিকা। এটা যদি কাজ করে, যদি এটাই তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমরা কখনই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাব না। বরং এর থেকে আরও গভীর মতবিরোধের পরিস্থিতি এবং আসলেই বিশাল একটা বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হবে।\" উত্তেজনা বাড়ছে মি. স্যাক্স এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এমন এক সময়ে যখন চীন ও আমেরিকার মধ্যে শুধু বাণিজ্য নিয়ে নয়, বরং অনেক বিষয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি আইনে সই করেছেন যাতে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম নিপীড়নের জন্য দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার একটা উপায় হিসাবে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে উৎসাহিত করেছে বলে তিনি মনে করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিপজ্জনক চেহারা নিচ্ছে চীন-মার্কিন বৈরিতা, পরিণতি কী? বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? করোনাভাইরাস নিয়ে চীন-আমেরিকা লড়াই আমেরিকা তার আক্রমণের একটা লক্ষ্যবস্তু করেছে বিশাল চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়েইকে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনা কোম্পানিগুলোকেও তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছেন, বিশেষ করে চীনের বিশাল টেলিযোগাযোগ সংস্থা হুয়াওয়ে। আমেরিকান প্রশাসনের বক্তব্য চীন আমেরিকার ভোক্তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য এই সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষ এবং হুয়াওয়ে এই দাবি অস্বীকার করেছে তবে চীন এবং হুয়াওয়ের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই কঠোর মনোভাব তার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার জিতে আসার একটা রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে- অন্তত তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের যে নতুন বই নিয়ে এখন তুমুল আলোড়ন চলছে- তাতে মি. বোল্টন তেমনটাই উল্লেখ করেছেন। কী আছে এই বইয়ে। পড়তে পারেন বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে দশটি মারাত্মক দাবি অধ্যাপক স্যাক্সও এ বিষয়ে একমত যে, হুয়াওয়েকে লক্ষ্য করে আমেরিকা শুধু সাদাসিধে নিরাপত্তা উদ্বেগ থেকে কড়া কড়া মন্তব্য করেনি। ব্যাপারটা অত সহজ নয়। \"আমেরিকা ফাইভ-জি প্রযুক্তির দৌড়ে হেরে গেছে, নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হল ফাইভ জি। আর এক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ক্রমশই বিশ্ব বাজার দখল করে নিয়েছে। \" \"আমার মতে, হুয়াওয়ে বিশ্বের জন্য একটা হুমকি- আমেরিকার এই বক্তব্য বানোয়াট। আমেরিকা তার মিত্রদেশগুলোকে এটা বোঝাতে উঠেপড়ে লেগেছিল, যাতে তারা হুয়াওয়ের সাথে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়,\" বলছেন অধ্যাপক জেফ্রি স্যাক্স। উত্তেজনার চরম পর্যায় তবে চীন শুধু যে আমেরিকার সাথেই সংঘাতে জড়িয়েছে তা নয়। এখন ভারত চীন সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে মারত্মক সীমান্ত সংঘাতে অন্তত বিশ জন ভারতীয় সৈন্য মারা গেছে। চীন ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এবং নেপালে বড় বড় অর্থকরী প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করছে। আর এই সবগুলো দেশই ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র। চীন যেভাবে ওই অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যেটা পাকিস্তানকে বাদ দিলে একসময় ভারতেরই কুক্ষিগত ছিল, সেটা অবশ্যই ভারতের জন্য আশংকার। মি. স্যাক্স স্বীকার করছেন যে, এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্যও চীনের এই উত্থান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি না তারা এই আশংকা দূর করার চেষ্টা করে যে, তারা শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতার পথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চাইছে। \"আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, এমন একটা সত্যিকার আশংকা দূর করার জন্য চীন উদ্যোগ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি কিনা- আমি বলব হ্যাঁ,\" বলছেন মি. স্যাক্স। \"আসলে বিষয়টা কিন্তু পুরো চীনের হাতে। চীন যদি সহযোগিতা করে, চীন যদি কূটনীতি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বহুপাক্ষিকতায় অংশগ্রহণ করে, অন্য কথায়- চীন যেহেতু খুবই শক্তিশালী একটা রাষ্ট্র এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী একটা শক্তি হিসাবে চীন নিজেকে দেখে- আমার মনে হয়- এশিয়ার জন্য সেটা একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে আসবে।\"", "doc2": "Jeffrey Sachs BBC-yə deyib ki, dünya pandemiyadan sonra \"böyük pozuntular içində olan və idarə edilməyən\" bir dövrə doğru irəliləməkdədir. İki fövqəldövlət arasında ziddiyyət bu vəziyyəti daha da dərinləşdirəcək, o xəbərdarlıq edib. Columbia Universitetinin professoru iki ölkə arasında yaranmış düşmənçiliyə görə günahı ABŞ administrasiyasında görür. \"ABŞ-ın hərəkətləri əməkdaşlıq deyil, parçalanma doğurur, - Jeffrey Sachs BBC-yə deyib. - Bu cür hərəkətlər davam edərsə, normal vəziyyətə qayıtmayacağıq, daha böyük ziddiyyətlər və daha böyük təhlükə ilə üzləşəcəyik\". Gərginlik artır Jeffrey Sachs-ın şərhləri, ABŞ və Çin arasındakı gərginliyin yalnız ticarət deyil, bir neçə istiqamətdə böyüdüyü bir dövrə təsadüf edib. Ötən həftə prezident Trump Çinin Sincan bölgəsində müsəlmanların təqibinə cavabdeh olan rəsmilərə qarşı ABŞ sanksiyalarının tətbiq edilməsinə yol açan qanun imzalayıb. Wall Street Journal-a verdiyi müsahibəsində prezident Trump Çinin virusu bilərəkdən yaydığı ehtimalını istisna etməyib. Trump-ın qənaətincə, Çin bunu dünyanın rəqabətli iqtisadiyyatlarına zərbə vurmaq üçün edə bilərdi. ABŞ Huawei şirkətinə Amerika texnologiyalarından istifadə etməyi yasaqlayıb Trump administrasiyası Çin şirkətlərini, xüsusən də Çin telekommunikasiya nəhəngi Huawei-i hədəfə alıb. Washington deyir ki, həmin şirkət Pekinə öz müştərilərinə qarşı casusluq etməkdə yardım göstərir. Çin və Huawei şirkəti bu ittihamları rədd edir. Ancaq keçmiş Milli Təhlükəsizlik Müşaviri John Bolton-un yeni bir kitabında qeyd olunduğu kimi, Çinə və Huawei-yə qarşı sərt mövqeyi prezident Trump-ın yenidən seçilmək üçün siyasi oyununun bir hissəsi ola bilər. Professor Sachs Huawei-in hədəfə alınmasının heç zaman yalnız təhlükəsizlik ilə bağlı olmadığı ilə razılaşır. \"ABŞ yeni rəqəmsal iqtisadiyyatın vacib bir hissəsi olan 5G texnologiyası ilə addımlaşa bilmir. Huawei-in isə dünya bazarlarında çəkisi getdikcə daha çox artırdı, - o deyir. - ABŞ, mənim fikrimcə, Huawei-in qlobal bir təhlükə olduğunu uydurub. Müttəfiqlərinin Huawei ilə münasibətlərini pozmaq üçün ABŞ onlara böyük təzyiq göstərib\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52356422", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52357654", "doc1": "কোভিড-নাইনটিনের একটি উপসর্গ কাশি। এজন্য কর্তৃপক্ষ এই রোগ থেকে সেরে উঠা লোকজনকে রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছে। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, এই রক্ত দিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে তারা পরীক্ষা চালাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটা দিয়ে তারা রোগীর শরীরে থাকা ভাইরাসটি নির্মূল করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এবিষয়ে বড় ধরনের গবেষণা শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিচ্ছে দেড় হাজারেরও বেশি হাসপাতাল। রক্তের এন্টিবডি দিয়ে ভাইরাসটি মোকাবেলা করা হবে। কীভাবে কাজ করবে? যখন একজন ব্যক্তি কোভিড-নাইনটিন রোগে আক্রান্ত হন তার শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে এন্টিবডি তৈরি করে। এই এন্টিবডি করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে। সময়ের সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের তরল পদার্থ প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি হয়। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, তারা এখন প্লাজমার এই এন্ডিবডি ব্যবহারের পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে চায়। কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-নাইনটিন থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত রক্ত অসুস্থ মানুষের শরীরে সঞ্চালিত করলে কতোটা কাজ হয় সেটা তারা এখন পরীক্ষা করে দেখবেন। সংস্থাটির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “আমরা মনে করি কোভিড-নাইনটিন রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসায় এটি হবে প্রাথমিক এক গবেষণা।” এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। করোনাভাইরাস। “এই পরীক্ষায় দেখা হবে কনভালেসেন্ট প্লাজমা কোভিড-নাইনটিন রোগীর শরীরে সঞ্চালিত করার পর সেটি কতো দ্রুত তাকে সারিয়ে তুলতে পারে এবং এর ফলে তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা কতোখানি বৃদ্ধি পায়।” তবে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে মানুষের দেহে এই পরীক্ষা চালানো হবে। এর ফলে রোগীর যাতে ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। এবিষয়ে কতো দ্রুত পরীক্ষা শুরু করা যায় তার জন্য সংস্থাটি সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কোভিড-নাইনটিন রোগের চিকিৎসায় রক্তের প্লাজমার ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন গ্রুপ কাজ করছে। কার্ডিফে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অফ ওয়েলস এই সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে তারাও এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে চায়। এছাড়াও আরো কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর স্যার রবার্ট লেকলার বলেছেন, তিনি চান করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগী, যাদের আর কোনো চিকিৎসার উপায় নেই, তাদের শরীরে এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা চিকিৎসা চালানো হোক। তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কিছু রোগীকে এই চিকিৎসা না দেওয়া যায় তাহলে সেটা হবে হতাশাজনক। এই কাজটা খুব দ্রুত শুরু করতে হবে।” তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপারে ব্রিটেন ইতোমধ্যে দেরি করে ফেলেছে। বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই প্লাজমা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সারা দেশে কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যক্তিদের রক্ত সংগ্রহ করতে শুরু করে। এবং এই সময়ের মধ্যে তারা প্রায় ছ’শো রোগীর ওপর এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছে। মায়ো ক্লিনিকের প্রফেসর মাইকেল জয়নার এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “প্রথম সপ্তাহে আমরা যা শিখেছি তা হলো এখানে বড় ধরনের কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি চোখে পড়েনি এবং রোগীর শরীরে অপ্রত্যাশিত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।” “কিছু কিছু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রার উন্নতি হওয়ার খবর পেয়েছি এবং রোগীরও কিছু উন্নতি হয়েছে। এগুলো আশাব্যাঞ্জক তবে এসব ফলাফল আরো গভীরভাবে যাচাই করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে,” বলেন তিনি। তিনি জানান, এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত। “প্লাজমার ব্যাপারে এখনও অনেক কিছুই আমরা বুঝি না। প্লাজমার মধ্যে আরো কী কী উপাদান আছে, সেখানে অ্যান্টিবডির মাত্রা কতোখানি, এবং আরো কিছু বিষয় হয়তো আগামীতে জানা যাবে।” “কিন্তু কখনো কখনো একজন চিকিৎসক হিসেবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে একটা উদ্যোগ নিতে হবে।” আগের মহামারির অভিজ্ঞতা অসুখ থেকে সেরা ওঠা রোগীর রক্তের ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন কিছু নয়। একশো বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়েও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি এবোলা ও সার্স রোগের চিকিৎসাতেও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর এখনও পযন্ত ছোট খাটো কিছু পরীক্ষা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-নাইনটিনের চিকিৎসায় এই প্লাজমা পদ্ধতি কতোটুকু কাজ করবে সেটা জানতে এনিয়ে আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ এগিয়ে এসেছে। কোভিড-নাইনটিন থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়া লোকের কাছ থেকে রক্তদানের আহবান জানানোর পর বিভিন্ন কেন্দ্র ও হাসপাতালে মানুষের হিড়িক পড়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ব্রুস সেকিস বলেছেন, “শত শত মানুষ আসছে রক্ত দিতে। আমরা মাত্র এক হাজার ইউনিট সংগ্রহ করতে পেরেছি।” “এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা যে সেরে ওঠার পর আক্রান্ত অন্য ব্যক্তিদের এভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন এটা খুবই হৃদয়গ্রাহী ব্যাপার।” তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটাও মনে রাখতে হবে যে এই প্লাজমা ‘ম্যাজিক বুলেট’ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা যেখানে এতোটাই সীমিত সেখানে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার আগ পযন্ত কনভালেসেন্ট প্লাজমা পদ্ধতি কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে সেরে ওঠার ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সাহায্য করবে।", "doc2": "Britaniya Səhiyyə Sisteminin Qan və Transplantasiya (NHSBT) bölməsi bu məqsədlə Covid-19-dan sağalmış bəzi insanlardan qan vermələrini xahiş edib. Ümid edilir ki, sağalmış xəstələrin qanında əmələ gəlmiş antitellər digər xəstələri virusdan qurtara bilər. ABŞ-da bu effekti öyrənmək üçün artıq 1500-dən çox xəstəxananı əhatə edən böyük bir layihəyə başlanılıb. İnsanın immun sistemi yoluxma zamanı virusu hədəfləyən antitellərin əmələ gəlməsiylə reaksiya verir. Qanda əmələ gələn həmin antitelləri plazmada, yəni qanın tərkib hissəsi olan mayedə aşkar etmək olar. NHSBT Covid-19-dan sağalmış xəstələrə müraciət edərək onlardan götürülən plazma ilə virusa yoluxanların müalicə edilməsinin mümkünlüyünü öyrənir. \"Biz onun Covid-19-dan mümkün müalicə üsulu kimi sınaqlardan keçirilməsini nəzərdə tuturuq, - NHSBT tərəfindən verilən şərhdə deyilir. - Buna tam icazə verilsə, sınaqlarda sağalmış insanların plazmasının köçürülməsinin Covid-19 xəstələrinin sağalma sürətinə və sağ qalmaq şanslarının yaxşılaşmasına təsiri araşdırılacaq.” \"Xəstələri qorumaq və etibarlı nəticələr əldə etmək üçün bütün klinik sınaqlar ciddi təsdiqləmə prosesindən keçməlidir. Təsdiqləmə prosesini mümkün qədər tez keçmək üçün hökumət və bütün müvafiq qurumlarla sıx əlaqə rejimində işləyirik.\" Bu üsul əvvəlki pandemiyalarda necə kömək edib? Sağalmış xəstələrin qanından istifadə etmək tibbdə yeni bir fikir deyil. 100 il bundan əvvəl İspan qripi epidemiyası zamanı və bu yaxınlarda Ebola və Sars epidemiyaları zamanı bu üsuldan istifadə edilib. Bu üsulun effektivliyi və koronavirusa qarşı nə qədər təsirli olacağını öyrənmək üçün hərtərəfli araşdırmalar aparılmalıdır, çünki indiyə qədər bu istiqamətdə yalnız məhdud araşdırmalar yer alıb. Alimlər hesab edirlər ki, plazma möcüzə yaratmayacaq. Amma koronavirusun müalicəsində hələlik ciddi nəticə əldə olunmadığı nəzərə alınarsa, plazma üsulunun koronavirusa qarşı bir peyvənd tapılana qədər vaxt qazanmağa imkan verəcəyi ümidləri mövcuddur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40871868", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40872448", "doc1": "মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই এই হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। এই বিবৃতির পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুয়াম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সংবাদে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই এমন ক্ষুদ্রকায় পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে, যা কোন ক্ষেপণাস্ত্রের ভেতরে বসিয়ে সেটিকে কার্যকর করা সম্ভব হবে। আরো পড়ুন: গৃহকর্মী আনার এক সার্ভিস নিয়ে সৌদি আরবে বিতর্ক ভারতে গরু নিয়ে তুলকালাম, চামড়া শিল্প নিয়ে উদ্বেগ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন পোস্টের খবর সঠিক হলে, উত্তর কোরিয়া সত্যি পরমাণু অস্ত্র গড়ে তুলেছে এবং মনে করা হচ্ছে, ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত হানতে পারবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এদিকে, মাত্র দুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার ওপরে নতুন করে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ।", "doc2": "Guam adası ABŞ-ın Anderson hava bazasının vətənidir. Rəsmi mediada yayılmış bu bəyanat, prezident Donald Trump-ın Şimali Koreyanı \"od-alovla\" təhdidlərindən sonra verilib. Şimali Koreyanın rəsmi informasiya agentliyi bildirib ki, ABŞ-ın strateji bombardmançı təyyarələrinin yerləşdiyi əraziyə - Guam-a orta məsafəli raket atmaq planlaşdırılır. Son bəyanatlar iki ölkə arasında gərgin ritorikanı daha da artırıb. BMT bu yaxınlarda Şimali Koreyaya qarşı iqtisadi sanksiyaları təsdiqləyib. Pxenyan bunu \"suverenliyinin zorakı şəkildə pozulması\" adlandırıb və ABŞ-a bunun \"əvəzini ödəyəcəyini\" deyib. Hadisələr necə bu vəziyyətə gəldi? Bundan sonra Washington Post qəzetində çıxan bir xəbərdə Şimali Koreyanın bir raketinin içinə yerləşdiriləcək qədər kiçik bir nüvə başlığı hazırladığı iddia olunub. Xəbərdə Şimali Koreyanın güman ediləndən çox daha qısa bir müddətdə ABŞ-ı vura biləcək qabiliyyətə nail olacağı vurğulanırdı. Şimali Koreya, iyul ayında iki qitələrarası balistik raket sınağı keçirib və ABŞ-ı vura biləcək qabiliyyətə çatdığını iddia etmişdi. ABŞ prezidenti Trump isə Şimali Koreyanın son sınaqlarına və açıqlamalarına cavab olaraq, \"Şimali Koreya ABŞ-ı daha çox təhdid etməsə yaxşı olar. Dünyanın heç görmədiyi bir atəş və hirslə qarşı-qarşıya qalacaqlar\" deyib. Kiçik, amma önəmli Guam"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2015/07/150709_an_rare_system_discover_astronomer", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-46827870", "doc1": "এর মধ্যে দুটি জোড়ায় চারটি নক্ষত্র রয়েছে। একেকটি জোড়ার নক্ষত্রগুলো পরস্পরের খুব কম দূরত্বে বা সংযুক্ত অবস্থায় রয়েছে। মহাবিশ্বে এ ধরনের দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। যুক্তরাজ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জাতীয় সম্মেলনে ওই পাঁচটি নক্ষত্রের ব্যাপারে গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, দুটি জোড়ার একটিতে নক্ষত্রগুলো খুব কম দূরত্বে রয়েছে। মাত্র প্রায় ৩০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। আর অপর জোড়াটিতে দু’টি নক্ষত্র প্রায় সংযুক্ত অবস্থাতেই রয়েছে। একটি জোড়ার কাছেই নিঃসঙ্গ অবস্থায় রয়েছে অপর নক্ষত্রটি। যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিদ মার্কাস লোর বিবিসিকে বলেছেন, “নক্ষত্রগুলোর এ ধরনের অবস্থান সত্যিই অদ্ভুত। জোড়া নক্ষত্রগুলোর কোনো গ্রহ কেন নেই, তাও স্পষ্ট নয়। সব নক্ষত্র একই কক্ষপথে ঘোরে। হয়তো এগুলো একই তারকা উৎসের ধূলি ও গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত”।", "doc2": "Ulduz dumanı Bu sürətli radio partlamalar kimi məlum olan siqnallar Yerdəki radioteleskoplara çataraq saniyənin mində birində parlayır və yoxa çıxırlar. Son 10 ildə onlarla belə impuls qeydə alınıb. Lakin bu dəfəki siqnallar hər zamankından bir qədər fərqli olub - onlar təkrarlanıblar. Alimlər bu siqnalların hardan gəldiyini bilməsələr də, müxtəlif versiyalar irəli sürürlər. Rəssamın təsəvvüründə neytron ulduzu kimi görünməlidir. Neytron ulduzu Ulduzlarda partlayış baş verən zaman onlar sürətlə neytron ulduza çevrilə bilir. Astronomlar hesab edirlər ki, həmin ulduzlardan güclü maqnit sahəsində yerləşənləri belə qəribə siqnallar yaya bilər. \"Ümumiyyətlə, neytron ulduz variantı izahatı pis səslənmir\", Vankuverdən olan Kanadalı astrofizik İngrid Steyrz deyir. Lakin biz hələ də belə yüksək radiodalğaların yaranmasına səbəb olan fiziki proseslərin təbiətini öyrənə bilməmişik\", o izah edir. İki ulduzun birləşməsi Bu məsələnin daha bir izahatı isə iki neytron ulduzunun toqquşmasıdır. Monrealdan olan astronom Shriharsh Tendulkarın sözlərinə görə, bu versiya yalnız təkrarlanmayan siqnallar üçün keçərlidir, çünki toqquşma zamanı ulduzlar parçalanır. \"Belə bir hadisələr bir dəfəlik fəlakətlərdir, buna görə də bu nəzəriyyə təkrarlanan radiosiqnalları izah edə bilməz\" o deyir. Son on ildə teleskoplarla qeydə alınan radio partlamaların çoxu məhz bir dəfəlikdir. Lakin iki eyni siqnal təkrar-təkrar qeydə alınırsa, bunun başqa bir izahı olmalıdır. Blister Bəzən neytron ulduzu öz ağırlığını dəstəkləmədiyi üçün fırlanaraq sıxışır və qara dəliyə çevrilir. Bu vəziyyət də ulduzun məhvinə gətirib çıxarır, beləliklə həmin proses zamanı da təkrar siqnal qeydə alına bilməz. Qara dəlik isə təxminən belə görünməlidir. Qara dəlik Bizim qara dəliklər haqqında məlumatımız o qədər azdır ki, onlar bir anda bir neçə izahat əmələ gətirir. Daha bir versiya odur ki, bu radiosiqnalları qara dəliyə düşən neytron ulduzları yayır, yaxud da ki, ölçüsü balacalaşan qara dəliyin özü. Qara dəliklə toqquşan qaranlıq materiya da bu siqnalları yarada bilər. Bəlkə yadplanetlilər? Bir çoxları əmindir ki, radiosiqnallar təbii mənşəlidir. Bəziləri isə düşünür ki, onlar Yerdən kənardakı həyatın sübutu ola bilər. Professor Streyz hesab edir ki, bu izahatdakı reallıq payı azdır. Radiosiqnalları bu teleskoplar qeydə alır. \"Siqnallar çox müxtəlif yerlərdən - məsafədən və ya birbaşa gəlir. Onlar dəqiq, müxtəlif qalaktikalarda baş verir\", o vurğulayır. \"Bu cür çox sayda fərqli yad sivilizasiyanın mövcud olduğu və onların hamısının eyni vaxtda, eyni şəkildə siqnalın yayılmasına qərar verməsi inanılmazdır. Belə bir təsadüf ehtimalı sıfıra bərabərdir\", astrofizik bildirir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40354904", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40356956", "doc1": "২৯ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান খুবই দ্রুতই রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোও তাঁর নিয়ন্ত্রণে। সৌদি আরবের ভবিষ্যত বাদশাহ সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা খাতে তাঁর অবদান ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সালমান বিন আবদুল আজিজ সিংহাসনে আরোহণের পর বেশকিছু রদবদল করেন। তাঁর ছেলেকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব দেন। ২৯ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পরেই ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সামরিক অভিযান শুরু করে। সৌদি আরবে অর্থনীতিতে তেল নির্ভরতা কমাতে চান মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি কাউন্সিল অব ইকোনমিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। সৌদি আরবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রকাশিত তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। ওই পরিকল্পনা প্রকাশ করে তিনি এটাও বলেছেন যে \"আমরা তেল ছাড়াই চলতে পারবো, ২০২০ সালের মধ্যেই এমনটা নিশ্চিত হবে\"। নতুন এই যুবরাজ সৌদিদের কাছে অন্যতম একটি রোল মডেলও হয়ে উঠেছিলেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের যে পরিকল্পনা মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছেন সেটাক অবশ্য 'উচ্চাভিলাষী\" বলে বর্ণনা করেছে আইএমএফ । একইসাথে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ। ইরানের সাথে সম্পর্কে তিনি কোনো পরিবর্তন আনবেন সেই সম্ভাবনা নেই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা গত মাসেই বাতিল করে দেন প্রিন্স মোহাম্মদ। সিরিয়া ও ইয়েমেনে যে লড়াই চলছে তাতে দুদেশ দুই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সৌদি আরবে এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার পর দুই দেশের সম্পর্কে আরো অবনতি হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় মাধ্যম ওই শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাকে 'এক অভ্যুত্থান' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছিল সৌদি আরবকে এ ঘটনার জন্য কড়া মূল্য দিতে হবে। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। রাজপরিবারের ক্ষমতা আরো বেশি দৃঢ় করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁর বাবা বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ সিংহাসনে বসার আগে থেকেই ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ঠ ঘনিষ্ঠ ছিল। ২০০৯ সালে তাঁর বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ বিন সালমান। সেই সময়ে রিয়াদের গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসে বাদশাহ সালমান তাঁর ছেলেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন এবং ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন। ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হলেও মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের তেল নীতি বাস্তবায়ন ও ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক এই দেশের বিপুল প্রতিরক্ষা বাজেটও ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্যও তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। তিনি রাজপরিবারের সদস্য মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি রাজপরিবারের বেশিরভাগের মতোই তিনি সৌদি আরবেই তার পড়ালেখা শেষ করেছেন। কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন বিন সালমান। তাঁর একজন স্ত্রী রয়েছেন, দুই কন্যা ও দুই পুত্রের জনক সৌদি আরবের নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আরো পড়ুন: আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়?", "doc2": "Şahzadə Məhəmməd 29 yaşında müdafiə naziri olub Hazırda onunla atasını cəmi bir pillə ayırır. Gənc oğul irəlilədikcə daha çox səlahiyyətə sahib olub. Mümkün rəqiblər kənara sıxışdırılıb. Ölkənin növbəti hökmdarı barədə bilməli olduğunuz bunlardır. O, mənsub olduğu ailə qolunun hakimiyyətini möhkəmləndirib Yeni təyin olunmuş vəliəhd atasına onun taxt-taca çıxmasından əvvəl də yaxın olub. 2009-cü ildə şahzadə Məhəmməd ibn Salman Riyad şəhərinin qubernatoru olan atasının xüsusi müşaviri təyin edilib. Hərçənd ki, şahzadə Məhəmməd ibn Salmanın yüksəlişi belə radikal dəyişiklərə alışmayan monarxiya üçün xüsusi haldır. Onun siyasi səyahətində sıçrayış 2015-ci ildə kralın yeni nəsildən varis seçməsi vaxtı baş verib. Məhəmməd ibn Naif tərəfindən vəliəhd vəzifəsində əvəzlənən kralın atabir qardaşı Muqrin ibn Əbdül Əziz kənara sıxışdırılıb. Həmçinin oxuyun: Salmanın oğlu üçün daha vacib olan isə onun vəliəhd müavini təyin edilməsi idi. Bu əsaslı yerdəyişmələr onun ibn Naifin kənarlaşdırılması təqdirdə taxt-taca növbədə birinciliyinə zəmin yaratdı. Yeni vəliəhd müdafiə naziri olaraq baş nazirin müavini vəzifəsinə də sahibdir. Mart ayında prezident Donald Trump Ağ Evdə şahzadə Məhəmmədlə görüşüb O müdafiə məsələlərində fəaldır Salman Əbdül Əziz 2015-ci ilin yanvar ayında taxt-taca çıxarkən oğlunun mövqelərini möhkəmlədən çevik dəyişikliklər edib. 29 yaşlı şahzadə dünyanın ən gənc müdafiə naziri olub. Bundan cəmi iki ay keçmiş Səudiyyə Ərəbistanı qonşu Yəməndə hərbi kampaniyaya başladı. Hərçənd ki, koalisiya Yəmən prezidenti Əbdrəbbuh Mənsura üsyançıların əlində olan paytaxt Sanaya nəzarəti bərpa etməyə kömək edə bilməyib. O, nefdtən asılılığı azaltmaq istəyir 2016-ci ilin aprel ayında İqtisadiyyat və İnkişaf İşləri Şurasının başçısı olan nüfuzlu şahzadə ölkənin neft gəlirlərindən \"asılılığının\" azaldılmasına yönələn islahatları elan edib. O deyib ki, - Vision 2030 planı - \"2020-ci ilədək bizim neftsiz yaşaya biləcəyimizi\" təmin etməlidir. Ön plana çıxdıqdan bəri gənc şahzadə səudiyyəlilər üçün rol modeli kimi təsvir olunur. BVF planı \"ambisiyalı uzun müddətli cəhd\" kimi dəyərləndirsə də onun həyata keçirilməsinin çətin olacağını bildirib. Kral Salman 2015-ci ildə oğlunu vəliəhd müavini təyin edib Onun İranla əlaqələri dəyişmək ehtimalı aşağıdır Ötən ay şahzadə Məhəmməd ibn Salman ölkəsinin rəqib İranla hər hansı dialoq quracağını istisna edib. Hər iki ölkə Suriya və Yəmən kimi münaqişələrdə qarşı tərəfləri dəstəkləyir. Səudiyyədə tanınmış şiə ruhanisi Nimr əl-Nimrin edamından sonra Tehranla Riyadın əlaqələri daha da korlanıb. İran dövlət mediası vəliəhdin təyinatını \"yumşaq çevriliş\" adlandırıb. O ailə adamıdır 1985-ci il 31 avqust təvəllüdlü Məhəmməd ibn Salman, kral Salmanın üçüncü xanımı Fəhdə ibn Fəlah ibn Sultanın böyük oğludur. Başqa şahzadələrdən fərqli olaraq o təhsilini Səudiyyədə başa vurub. Bir sıra dövlət qurumlarında işlədikdən sonra o, King Saud Universitetində hüquq üzrə təhsil alıb. Yalnız bir xanımı olan vəliəhd iki qız və iki oğlan uşağının atasıdır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48026130", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48022032", "doc1": "কিম যাচ্ছেন পুতিনের কাছে। কিন্তু এই বৈঠকে কার কী স্বার্থ? এই সফরের কোন তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে এপ্রিলের দ্বিতীয় ভাগে এই সাক্ষাৎ হবে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে তাদের মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে জল্পনা চলছে। দুদেশের অভিন্ন সীমান্ত থেকে এই ভ্লাদিভস্তক বন্দর মাত্র কয়েক ঘন্টার পথ। কিছুদিন আগে হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং আনের সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক কার্যত ভেঙ্গে যাওয়ার পর এখন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন চলছে। তবে এবারের এই শীর্ষ বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনার বিষয় একেবারেই ভিন্ন। মস্কো-পিয়ং ইয়ং সম্পর্ক রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এরকম সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছে ২০১১ সালে। তখন রাশিয়ার নেতা ছিলেন প্রেসিডেন্ট মেদভিয়েদেফ, তার সঙ্গে বৈঠকটি হয়েছিল কিম জং আনের বাবা কিম জং ইলের। ভৌগোলিক দিক থেকে রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এরকম বৈঠকের গুরুত্ব আছে। দুদেশের আছে অভিন্ন সীমান্ত, যদিও তা খুব বেশি দীর্ঘ নয়। আর রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ভ্লাদিভস্তক সেখান থেকে কাছেই। অন্যদিকে প্রায় আট হাজারের মতো উত্তর কোরীয় অভিবাসী কাজ করে রাশিয়ায়। তবে অনেকের অনুমান, এদের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যেহেতু জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই এই অভিবাসী কর্মীদের সবাইকে এবছরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠাতে হবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর মস্কোর প্রভাব কতটা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন একসময় উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল। উত্তর কোরিয়া তাদের প্রাথমিক পরমাণু প্রযুক্তি পেয়েছিল রাশিয়ার কাছ থেকেই। তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর এই সম্পর্কে ভাটা পড়ে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যখন রাশিয়ার সম্পর্ক আবার খারাপ হতে শুরু করে, তখন আবার উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করে। \"শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, এমন এক নীতি নেয় মস্কো\", বলছেন সওলের কোকমিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আন্দ্রে লানকভ। উত্তর কোরিয়া কী চায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক যে ভেঙ্গে যাবে, সেটা উত্তর কোরিয়া আশা করেনি। তারা আশা করেছিল, সেখানে কোন একটা আপোষরফা হবে, যার ফলে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হবে। প্রফেসর লানকভ বলছেন, \"আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়াকে বেশ কাবু করে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের অবস্থান না বদলায়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে তাদের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে হবে।\" উত্তর কোরিয়া আর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এক সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল \"এজন্যে পিয়ং ইয়ং যেদেশের সঙ্গেই সুযোগ আছে, সেদেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো করতে চাইবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চাইবে, আমরা একঘরে নই\", বলছেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির আলেক্সি মুরাভিয়েভ। রাশিয়া এক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প উত্তর কোরিয়ার জন্য। আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? কেন ট্রাম্প এবং কিম বিশ্বকে চমকে দিতে পারেন আলেক্সি মুরাভিয়েভ বলছেন, \"এক্ষেত্রে মিস্টার কিমকে এর পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হয়। তিনি কূটনীতির উঁচু দান খেলায় বেশ দক্ষ। নিজের শাসন টিকিয়ে রাখা আর উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় তাকে এটা করতে হচ্ছে।\" বিশ্বের দুই বড় বড় শক্তির দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে সেখান থেকে যতটা সম্ভব সুবিধে আদায় করে নেয়া, এটাই উত্তর কোরিয়ার কৌশল। কাজেই রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে সেটা চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্ড হিসেবে খেলতে চান কিম জং আন। কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠক শেষ পর্যন্ত বিফল হয় এখানে মস্কোর স্বার্থ কী প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ আগ্রহী। কিন্তু ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক শুরু হওয়ার পর তাকে যেন সাইডলাইনে বসে এতদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। হ্যানয় শীর্ষ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর এখন হয়তো মস্কোর জন্য খেলার মাঠে ফিরে আসার এটাই সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো রাশিয়ারও অস্বস্তি আছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হওয়া নিয়ে। তবে ওয়াশিংটন যেখানে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত দেখতে চায়, সেখানে মস্কোর লক্ষ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। এটা রাশিয়ার জন্য একধরণের মান-মর্যাদারও ব্যাপার। তারা দেখাতে চায় যে এই পুরো ইস্যুতে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি তারা এই সংকট সমাধানে একটা অবদান রাখতে পারে, তাহলে তো কথাই নেই - তারা প্রমাণ করতে পারবে যে এই অঞ্চলে রাশিয়াই প্রধান শক্তি।", "doc2": "Kim Jong-Un Görüşdə Koreya yarımadasının \"nüvə problemləri\" müzakirə ediləcək. Ekspertlər hesab edirlər ki, Kim Jong-Un ABŞ prezidenti Donald Trump-la uğursuz danışıqlardan sonra dəstək axtarır. Donald Trump və Kim Jong-Un bu ilin əvvəlində Çində görüşmüş və Şimali Koreyanın nüvə silahı proqramını müzakirə etmiş, ancaq sammit razılaşmasız bitmişdi. BBC-nin rusca xidməti Rusiyada Şimali Koreya liderinin səfərinə hazırlıqdan yazıb. Cümə günü nəzərdə tutulan görüşün keçiriləcəyi Vladivostok ətrafında sular kiçik gəmilərin istifadəsi üçün bağlı olacaq. \"Kommersant\" qəzeti yazır ki, görüş Rus adasında Uzaqşərq Federal Universitetinin kampusunda olacaq. Kim Jong-Un həm də burda qalacaq: bu yer təhlükəsizliyin sərt tələbləri əsasında seçilib. Çərşənbə axşamından adaya gedən yol və universitetin ərazisi Şimali Koeyanın bayraqları ilə bəzənib. Ria Novosti yazır ki, sərhəddə Kimi çörək və duzla qarşılayıblar. Onun qatarına qədər olan yolu isə qırmızı xalça ilə döşəyiblər. Kim Jong-Un bildirib ki, Rusiyada olmaqdan məmnundur və əmindir ki, bu səfər sonuncu deyil. İnterfaks agentliyi xəbər verir ki, çərşənbə axşamı Şimai Koreyadan Vladivostoka iki təyyarə uçub; onlardan biri limuzini, digəri isə təhlükəsizlik xidmətinin əməkdaşlarını daşıyıb. Agentlik bildirib ki, təyyarələrdə uçanların hamısı kişi olub: \"Bəzisi onların videosunu çəkməməyi xahiş etdi. Onlardan biri Cənubi Koreya jurnalistinin videokamerasına zərbə endirdi\". Həmçinin bax: Şimali Koreya sakini ölüm təhlükəsinə rəğmən danışmaqdan çəkinmədi"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51247101", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-51242370", "doc1": "শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর অনেক গুলো আফটার শক অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল এলাজিগ প্রদেশের সিভরিস শহরে। ভূম্পিকম্পের কারণে ভবন ধসে পড়ে, যার কারণে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও। তুরস্ক প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্য ০৮:৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ভূম্পিকম্প আঘাত হানার পর ৬০টি আফটার শক বা পরাঘাত অনুভূত হয়। এটি জানায়, প্রায় ৪০০ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, যাদের সাথে বাস্তুচ্যুতদের জন্য বিছানা এবং তাঁবু রয়েছে। আফটার শকের কারণে বাসিন্দাদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাজিগের গভর্নর জানান তার প্রদেশে আট জন মারা গেছেন। একইসাথে পার্শ্ববর্তী মালাতিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছে যে সেখানে ছয় জন মারা গেছেন। টেলিভিশনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় যে, ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জরুরী সেবাদানকর্মীরা। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে সুনামি হওয়ার কতটা ঝুঁকি আছে? ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা ভূমিকম্প মোকাবেলা: প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ফারাক ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো ধ্বসে পড়ে। \"এটা খুবই ভয়ংকর ছিল- আসবাবপত্র আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি,\" সংবাদ সংস্থা এএফপি ৪৭ বছর বয়সী এলাজিগ শহরের বাসিন্দা মেলাহাত কানের উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে একথা বলে। ভূমিকম্পটি যে এলাকায় আঘাত হেনেছে তা রাজধানী আঙ্কারা থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দুর্গম এবং জনবিরল এলাকা হওয়ার কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে সময় লাগতে পারে। ওই এলাকায় রাতের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে শূন্য ডিগ্রির নিচে নামায় সেখানে বিছানা, তাঁবু এবং কম্বল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইগ্রিস নদীর উৎপত্তিস্থল হাজার লেকের পাড়ে অবস্থিত সিভরিস একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যেখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বাস করে।", "doc2": "Episentri Elazığın Sivrice bölgəsində olan 6,8 bal gücündə zəlzələ Malatya bölgəsində də güclü dağıntılar törədib. Hakimiyyət Elazığda 18 adamın öldüyünü bildirib. Malatyada dörd nəfər həlak olub. Daha əvvəl Malatyanın qubernatoru 6 nəfərin öldüyünü bildirmişdi. Zəlzələ nəticəsində çökmüş binaların dağıntıları altından 45 nəfər xilas edilib. Rəsmilər Elazığ və Malatyada 76 binanın dağıldığını, 645 binaya ciddi şəkildə zərər dəydiyini və 12 binanın qəzalı vəziyyətdə olduğunu açıqlayıb. Bölgədə axtarış və xilasetmə işləri davam etdirilir, Türkiyə Fövqəladə Halların İdarə Olunması Agentliyinin (AFAD) yaydığı məlumatda göstərilir. Türkiyədə zəlzələ: İsti yeməklər paylanılır Dağıntılar altında qalan insanlar axtarılır Televiziyada dağıntılar altında qalan insanları axtarıb çıxaran xilasediciləri görmək olar. Zəlzələdən təxminən 13 saat keçmiş binanın xarabaları altından bir qadın çıxarılıb. Deyilənə görə, o, qohumlarına mobil telefonla harada olduğunu söylədikdən sonra xilas edilib. Elazığda dağıntılar altında sağ qalan qadını xilas etmək mümkün olub Lakin dağıntılar altından çıxarılan 12 yaşlı uşaq xəstəxanaya çatdırılsa da, onun həyatını xilas etmək mümkün olmayıb. Türk Qızıl Aypara cəmiyyəti bölgəyə işçi, nəqliyyat vasitələri, səyyar mətbəx və ərzaq göndərdiyini açıqlayıb. 4000-ə yaxın əhalisi olan Sivrice Hazar gölünün sahillərində yerləşən populyar turizm mərkəzidir. 200-dən artıq təkrar təkan İlk yeraltı təkan cümə günü axşam saat 20.55-də yer alıb, AFAD bildirir. Bundan sonra daha 274 təkan qeydə alınıb. Onlardan 12-sinin gücü 4 baldan yuxarı olub. Zərərçəkənlər arasında \"Azərbaycan vətəndaşları yoxdu\" Təbii fəlakətdə zərərçəkənlər arasında Azərbaycan vətəndaşları olmayıb, Azərbaycanın Türkiyədəki səfirliyindən bildiriblər. BBC News Azərbaycancaya danışan səfirliyin nümayəndəsi deyib ki, Türkiyə tərəfindən alınan məlumata görə, zərərçəkənlərın hamısı Türkiyə vətəndaşlarıdır. \"Səfirlikdə açılan \"qaynar xəttə\" Azərbaycan vətəndaşlarından müraciət daxil olmayıb\". Zəlzələ Suriya, Livan və İranda da hiss olunub. Zəlzələ bölgəsində yerləşən 7 yaşayış məntəqəsində elektrik təchizatı kəsilib. Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50162816", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50157366", "doc1": "উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ঘুমাতে যাবার আগে গ্রহণ করলে সেটা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়। ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে বলা হচ্ছে, এটি একটি সহজ টিপস যা কি না জীবন বাঁচাতে পারে। সকালের বদলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ যদি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খাওয়া হয় তবে তা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক থেকে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। গবেষণায় এমনটাই পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা আমাদের দেহঘড়ি এবং প্রাকৃতিক যে ২৪ ঘণ্টার ছন্দ, সেটি আমাদের ওষুধ গ্রহণের প্রতিক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। ওষুধকে আপনার দেহঘড়িরসাথে মানিয়ে নিন দিনের কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে হার্টের ওষুধসহ বেশকিছু ওষুধ গ্রহণ করলে তা ভালো কাজ করে - এমন প্রমাণ রয়েছে। সর্বশেষ পরীক্ষাটি এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৯০০০ মানুষের ওপর করা হয়, দেখা হয় বিষয়টি উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের ক্ষেত্রে ঘটে কিনা। স্প্যানিশ ওই গবেষণায়: রাতের বেলায় রক্তচাপ কমে যায়, কারণ তখন আমরা বিশ্রাম নেই বা ঘুমাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটি যদি না হয়, রক্তচাপ যদি সবসময়ই বেশি থাকে তবে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেসব রোগী ঘুমাবার আগে হাইপার-টেনশনের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের রক্তচাপ দিনে ও রাতে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ ডাক্তাররা যাকে বলেন হাইপার টেনশন, এই রোগে আক্রান্ত সব রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ঘুমনোর সময় ওষুধ খাবার পরামর্শ দেন রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যেসব রোগী ঘুমাবার আগে হাইপার-টেনশনের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের রক্তচাপ দিনে ও রাতে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টির বিপরীত ব্যাপার ঘটছে সকালে ওষুধ খাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে। গবেষণার শীর্ষ গবেষক ভিগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রেমন হার্মিদা বলেছেন যে, চিকিৎসকরা রোগীদের এসব কিছু বিবেচনা করেই ওষুধ গ্রহণে পরামর্শ দিতে পারেন, \"এটি যেমন চিকিৎসার পেছনে বাড়তি ব্যয় হ্রাস করে, সেইসাথে বাঁচাতে পারে বহু প্রাণ।\" তবে তার মতে বিভিন্ন স্থানের মানুষের ওপর ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার ব্র্যান্ডের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ একইভাবে কাজ করে কিনা তার জন্যে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন। আরও পড়তে পারেন: বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ওষুধ প্রতিরোধী নতুন সুপারবাগ শুধুমাত্র একজন রোগীর জন্য ওষুধ বানালেন বিজ্ঞানীরা জিন পরীক্ষা: আসছে শুধু আপনার জন্য তৈরি ওষুধ ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের ভেনেসা স্মিথ বলছেন, \"যদিও এই গবেষণাটি এই অঞ্চলে চালানো পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফলকে সমর্থন করে তারপরও ভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষের ওপর বা যারা বিভিন্ন সময়ভিত্তিক কাজ করেন তাদের ওপর এটি চালিয়ে দেখা উচিত। তাহলে সঠিকভাবে প্রমাণ করা যাবে যে রাতে গ্রহণ করা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হৃদ-স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী কিনা।\" মানুষের জীবন যাপনও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:", "doc2": "European Heart Journal nəşrinə görə, bu, insanların həyatını xilas edə biləcək sadə bir qaydadır. Keçirilmiş bir araşdırmaya əsasən, həblər səhər vaxtındansa yatmaq vaxtına yaxın zaman qəbul edilərkən infarkt və insultdan daha yaxşı müdafiə edir. Mütəxəssislər bədənimizin bioloji \"saatının\" dərmanın təsirini dəyişdirə bildiyini zənn edirlər. Həbləri bədən saatınıza uyğunlaşdırın Müxtəlif dərmanların, o cümlədən ürək həblərinin günün müəyyən vaxtlarında qəbul edildikdə daha yaxşı işləyə biləcəyinə dair sübutlar mövcuddur. Yüksək təzyiqə qarşı həblərin təsiri 19 mindən çox insan üzərində yoxlanışdan keçirilib. İspaniyada keçirilmiş araşdırmada: İnsanın istirahət etdiyi və yuxuladığı gecə vaxtı qan təzyiqi təbii sürətdə düşməlidir. Ekspertlərə görə, əgər bu baş vermirsə və təzyiq yüksək qalırsa, bu hal insanda infarkt və insult riskinin artmasına gətirib çıxara bilər. Tədqiqatın nəticələrinə görə, axşam saatlarında dərmanın qəbul edilməsi yüksək təzyiq diaqnozlu xəstələrdə gecələr qan təzyiqini nəzarətdə saxlamağa imkan verir. Tədqiqat zamanı gecə yuxusundan əvvəl dərman qəbul edən xəstələrin qan təzyiqi dərmanı səhərlər qəbul edənlərlə müqayisədə nəticədə daha aşağı olub. Vigo Universitetindən olan aparıcı tədqiqatçı, professor Ramon Hermida həkimlərin xəstələrə bu qaydanı tövsiyə edə biləcəklərini qeyd edib: \"Bu, tamamilə pulsuzdur. Çox sayda insanın həyatını xilas edə bilər\". O qeyd edib ki, bu nəticənin müxatəlif qrup xəstələr və müxtəlif növ qan təzyiqi əleyhinə dərmanlara şamil ediləcəyini yoxlamaq üçün növbəti tədqiqatlar keçirilməlidir. Britaniya Ürək Fondundan Vanessa Smith bu məqsədlə tədqiqatların \"müxtəlif etnik qruplar və müxtəlif iş rejimində işləyən insanlar arasında da keçirilməsinin\" vacibliyini qeyd edib. \"Hazırda qan təzyiqi dərmanı qəbul edirsinizsə, qərmanı qəbul etdiyiniz vaxtı dəyişdirməzdən əvvəl həkiminizdən məsləhət almaq vacibdir. Həkimin səhər və ya gecə dərman təyin etməsinin xüsusi səbəbləri ola bilər\", - o deyib. Qan təzyiqinə həyat tərzi də təsir göstərə bilər, odur ki aşağıdakılardan çəkinmək lazımdır:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50027981", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49970232", "doc1": "রাস আল আইন শহরে তুরস্কের বোমাবর্ষণের পর থেকে এক লক্ষ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। ওই অঞ্চলটিতে মোতায়েন থাকা মার্কিন সৈন্যদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক আদেশে প্রত্যাহার করে নেবার পরই বুধবার থেকে সেখানকার কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী এবং সেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তুরস্ক দাবি করছে যে রাস আল-আইন শহরটি তারা দখল করে নিয়েছে, কিন্তু কুর্দিরা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে ২০ জন, এবং এক লক্ষ লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। উত্তর পূর্ব সিরিয়ার রাস আল-আইন শহরটির ওপর কামানের গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে আকাশে উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। শোনা যাচ্ছে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ । তুরস্কের যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে চক্কর দিচ্ছে । বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে? তুরস্কের অভিযানের শিকার কুর্দি জনগোষ্ঠী কারা? কুর্দিদের ত্যাগ করলেন ট্রাম্প, এরদোয়ানের টেলিফোন রাস আল আইন শহরে তুরস্ক সেনাবাহিনী তুমুল বোমা হামলা চালাচ্ছে এটা স্পষ্ট যে, উত্তর পূর্ব সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেবার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তই তুরস্কের এ অভিযানের সূচনা করে। এমনকী কোবানি শহরের কাছে যে মার্কিন ঘাঁটি আছে - সেখানেও শুক্রবার সন্ধ্যায় তুরস্কের কামানের গোলা এসে পড়ে । তবে এতে কেউ আহত হয় নি। তাল তামার শহরের কাছে তুরস্কের বিমান হামলায় - হেভরিন জেলেফ নামে একজন কুর্দি নারী রাজনীতিবিদ নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কুর্দি যোদ্ধারাও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে, তুরস্কের ভেতরে তাদের নিক্ষিপ্ত গোলা এসে পড়েছে। কুর্দি মিলিশিয়ারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীকে সহায়তা করেছিল, তবে তুরস্ক এই মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী বলে মনে করে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে তাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযান চালানোর পথ খুলে যায়। এর পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত তার প্রশাসনের ভেতরে এবং রিপাব্লিকান নেতাদের দিক থেকেও ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়। ফলে এখন তুরস্কের এই অভিযান থামানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর থেকেই চাপ বাড়ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার এ অভিযানের 'গুরুতর পরিণতির' ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মেনুশিন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। উত্তর সিরিয়ার কিছু কিছু অংশে এখনও আমেরিকান সেনারা টহল দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য ইতিমধ্যে বলেছেন যে তিনি তুরস্ক এবং কুর্দিদের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চান। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি চাইছেন উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়া-মুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করতে যেখানে সিরিয়ান শরণার্থীদের বসতি গড়ে তোলা হবে। কুর্দি নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের ''পিঠে ছুরি মারার'' অভিযোগ এনেছেন। কুর্দি মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে যে বন্দীশিবিরগুলো আছে তাতে হাজার হাজার ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধাকে আটক রাখা হয়েছে। তাই তুরস্কের এ আক্রমণের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভেতরেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সিরিয়ার কারাগারে আইএস বন্দীদের নিয়ে উদ্বেগ কেন বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পথেঘাটে 'মেয়ে-পটানো'র কায়দা কানুন: রোমান্টিক না অপরাধ? বুয়েটে সরকারবিরোধী ক্ষোভ ঠেকাতে তৎপর আওয়ামী লীগ স্থূলতা: মোটা হওয়া নিয়ে যে সাতটি ভুল ধারণা রয়েছে", "doc2": "Türkiyənin Suriyaya \"Barış Pınarı Hərəkatı\" planı adlandırdığı müdaxiləsi çərşənbə günü reallaşıb. BBC News Azərbaycancanın Türkiyənin Suriyada əməliyyatlarının regiona təsiri, miqyası və gələcəyi barədə suallarını siyasi şərhçi Şahin Cəfərli cavablandırır. BBC News Azərbaycanca: Şahin bəy, Türkiyənin bu əməliyyatlarının hədəfi nədir? - Türkiyə xeyli vaxtdır ki, Suriyanın şimalında, yəni Fərat çayının şərq hissəsində əməliyyat keçirəcəyi barədə məlumatlar verirdi. Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğan son iki il ərzində dəfələrlə bu barədə bəyanat vermişdi ki, biz Suriyanın şimalında \"terror zolağının\" yaranmasına imkan verməyəcəyik. \"Terror zolağı\" deyəndə, Türkiyə kürdlərin nəzarət etdiyi ərazini, Suriyadakı kürd qruplaşmaları PYD və YPG-nin nəzarətindəki ərazini nəzərdə tutur. İndi hadisələrin gedişatı uyğun gəlib, həm Amerika, həm də Rusiya ilə danışıqlarda bu əməliyyata etiraz etmədiyi barədə onların rəyi öyrənilib, onlardan söz alınıb və ondan sonra Türkiyə hərəkətə keçib. Dünəndən [oktyabrın 9-dan-red.] etibarən əməliyyat başlayıb, qarşı tərəf də deyəsən müqavimət göstərməyə çalışır. Onlar müqavimət göstərə bilər, hücum əməliyyatlarını gecikdirə bilər, amma hər halda nizamlı Türkiyə Ordusunun qarşısında yəqin ki, onların şansı olmayacaq. Türkiyənin planı belədir ki, Suriya ərazisində 30 km dərinliyində və 480 km uzunluğunda bir \"təhlükəsizlik zonası\" yaratsın, oradan bütün silahlı qrupları təmizləsin və Türkiyədəki suriyalı qaçqınları tədricən həmin əraziyə köçürtsün, orada məskunlaşdırsın. Amma bu plan reallaşacaqmı, nə qədər Türkiyənin istədiyi kimi reallaşacaq, bu, hələ ki, sual altındadır. Beynəlxalq aləmdən, istər ABŞ-dan, istər Avropa Ittifaqından Türkiyənin bu əməliyyatlarına etirazlar var. Rusiya da əslində tam dəstək vermir, o şərtlə dəstək verir ki, Türkiyənin bu əməliyyatı Suriyanın ərazi bütövlüyünün təmin olunmasına xidmət etsin. Beynəlxalq aləmdən tam dəstək yoxdur, ona görə də məsələnin siyasi tərəfi Türkiyə üçün çətindir. Hər halda yəqin ki, Türkiyə bundan sonrakı mərhələdə də istər Rusiyanın, istərsə də Amerikanın rəyini öyrənməli olacaq, yəni, belə deyək, onlarla hesablaşacaq. BBC News Azərbaycanca: Rusiya bu əməliyyatlara qarışmayacağını bildirib, ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo da çıxışında bildirib ki, ABŞ-ın Türkiyəyə \"yaşıl işıq\" verməsi səhv məlumatdır və belə bir razılıq olmayıb. Bir sıra dövlətlər və beynəlxalq təşkilatlar bu əməliyyata qarşı çıxır. Bu məqamlar Türkiyənin bundan sonrakı münasibətlərinə necə təsir edəcək? - Məncə, ABŞ-ın siyasətindən bəhs edərkən iki Amerikadan danışmaq lazımdır; biri Donald Trump-ın Amerikası, yəni, prezident hakimiyyəti, digəri isə ənənəvi Amerika sistemi. Son illərdə dəfələrlə müşahidə etmişik ki, bunların hər ikisinin siyasəti bir-birindən fərqlənir. Bu məsələdə - Türkiyə və kürdlər məsələsində də onlar arasında fikir ayrılığı aşkar hiss olunur. Mən Mike Pompeo-nun dediyinə qatılmıram, çünki əgər ABŞ razılıq verməsəydi, oradan öz əsgərlərini çıxarmasaydı, hava məkanını qeyri-rəsmi də olsa açmasaydı Türkiyə yəqin ki, bu cür genişmiqyaslı əməliyyata girişə bilməzdi. Yəni, bu faktdır ki, prezident Trump-la prezident Erdoğanın telefon danışığında razılıq əldə olunub. Buna görə də, Pompeonun dedikləri sırf daxili ictimaiyyətə yönəldilib, çünki ABŞ daxilində, xüsusilə Konqresdən etirazlar gəlir. Pompeo da bu etirazlara qarşı deyir ki, bizim razılığımız olmayıb. Proseslərin bundan sonrakı gedişatı Türkiyə ilə ABŞ və Rusiya arasındakı danışıqlardan asılı olacaq. Düzdür, Ərəb Dünyası da, İran da etiraz edir, amma onların proseslərə elə həlledici təsiri yoxdur. Suriyada əsas söz sahibi birinci Rusiya, ikinci ABŞ-dır. Burada Recep Tayyip Erdoğanın noyabrın 13-də ABŞ-a planlaşdırılmış rəsmi səfəri böyük əhəmiyyət daşıyır. ABŞ-la danışıqlar yəqin ki, Türkiyənin bundan sonrakı planlarına təsir göstərəcək. BBC News Azərbaycanca: Türkiyənin \"təhlükəsiz zona\"ya köçürməyi planladığı suriyalı qaçqınlar kimə tabe olacaq? Burada bir növ Türkiyə tabeçiliyi, yoxsa Suriya tabeçiliyi olacaq? - Bu, bir az mürəkkəb məsələdir. Əvvəlcə o ərazilərdə təhlükəsizliyi tam təmin etmək lazımdır ki, oraya insanları köçürmək mümkün olsun. Bu isə hələ ki, belə çox qısa müddətdə mümkün görünmür. Gərək Türkiyə Ordusu sürətlə irəliləsin və oradan bütün \"terrorçu\" və ya digər silahlı qrupları təmizləsin və orada öz nəzarətini tam qursun ki, bundan sonra qaçqınların köçürülməsi məsələsi gündəmə gəlsin. Məsələnin ikinci tərəfi odur ki, qaçqınları aparıb səhralıqda buraxa bilməzlər, gərək əvvəlcə onlara minimum şərait yaradılsın, evlər tikilsin, infrastruktur yaradılsın. Türkiyənin də buna maliyyə imkanları cavab verirmi ki, orada yaşayış məskənləri inşa etsin, bu da sual altındadır. Türkiyənin özündə iqtisadi böhran var və dövlətin imkanları o qədər də geniş deyil. Beynəlxalq təşkilatların köməyi olmadan Türkiyənin təkbaşına orada insanları məskunlaşdırması problematik görünür. Məsələnin üçüncü tərəfi odur ki, söhbət Suriya vətəndaşlarından gedirsə, onların taleyinin həll olunması məsələsində Suriyanın mərkəzi hökumətinin fikrini öyrənmək və onların da iştirakını müəyyən qədər təmin etmək lazımdır. Türkiyə hər nə qədər Bəşər Əsəd rejimini qanuni hökumət kimi qəbul etməsə də, bu, beynəlxalq çərçivədə de-fakto hakimiyyət kimi tanınıb. Yəni, bu məsələlər göründüyü qədər asan məsələlər deyil. BBC News Azərbaycanca: Türkiyənin Suriyanın şimalına müdaxiləsinə yaxın gələcəkdə hansı əks reaksiyalar ola bilər? - Hazırda gördüyümüz odur ki, beynəlxalq aləm Türkiyəni əməliyyatları dayandırmağa çağırır. Avropa İttifaqı, ABŞ Konqresi, Ərəb ölkələri, İran əməliyyatları dəstəkləmir. Rusiya müəyyən həddə qədər \"yaşıl işıq\" yandırsa da, Rusiya da tam dəstək vermir. Təbii ki, bu xarici siyasət, bu fon Türkiyənin lehinə deyil, ona görə də beynəlxalq aləmdən siyasi dəstək olmadan bu məsələni davam etdirmək Türkiyə üçün siyasi baxımdan çətinlik göstərəcək. Türkiyəyə sərf edir ki, öz məqsədinə mümkün qədər tez çatsın, qurduğu planları mümkün qədər tez reallaşdırsın. Çünki məsələ uzandıqca və qarşı tərəfdən müqavimət artdıqca bu, Türkiyənin əleyhinə işləyəcək, beynəlxalq aləmdən təzyiqlər daha da artacaq. Hələlik real addım ABŞ Konqresindəki sanksiya təşəbbüsüdür. Bu sanksiyanın Konqresdən keçməsi ehtimalı çox böyükdür. Əgər sanksiya Konqresdə təsdiq olunarsa bundan sonra prezidentin imzası tələb olunacaq, Trump-ın bunu imzalayıb-imzalamaması isə sual altındadır. Hər halda, Konqresdə də bu təşəbbüslərin qanuniləşdirilməsi prosesi vaxt alır. Prezidentin veto hüququ olduğuna görə Trump sanksiyaya veto da qoya bilər. Bu sanksiya məsələsinin uzanma ehtimalı da var. Ərəb ölkələri bu məsələ ilə bağlı təcili toplantı keçirəcəklər. Ola bilsin ki, məsələn, Səudiyyə Ərəbistanı, Birləşmiş Ərəb Əmirlikləri kimi ölkələr kürd qruplarına tutaq ki, maliyyə dəstəyini artırsınlar və yaxud yeni silahlar versinlər və s. Ərəb dünyasının addımları bundan o tərəfə keçə bilməz. Burada ancaq Suriya mərkəzi hökumətinin hərbi müdaxiləsi nəzəri baxımdan mümkündür, ancaq biz bilirik ki, Suriya hökuməti müstəqil deyil və Rusiyanın razılığı olmadan hər hansı hərbi əməliyyata girişə bilməz. Buna görə də, burada Türkiyə-Rusiya arasındakı dialoqdan çox şey asılıdır. Əgər Rusiya bundan sonra da Türkiyənin əməliyyatlarına dəstək verəcəksə, ABŞ administrasiyası hazırki mövqeyini davam etdirəcəksə, o zaman Türkiyənin öz planlarını reallaşdırması ehtimalı böyükdür. Əgər ABŞ və ya Rusiya Türkiyənin yoluna müəyyən məhdudiyyətlər qoyacaqsa, o zaman əməliyyatların gözləniləndən daha tez başa çatması və Türkiyənin daha məhdud miqyasda \"təhlükəsizlik zonası\" yaratması mümkün ola bilər. BBC News Azərbaycanca: Bu məsələnin regiona hansı təsirləri var? - Türkiyə daha əvvəl də Suriyada iki dəfə hərbi əməliyyat keçirib - \"Fərat qalxanı\" və \"Zeytun budağı.\" Bu, üçüncüdür. Bu, yalnız Suriyanın şimalını, Fərat çayının şərq hissəsini əhatə edən lokal hərbi əməliyyatdır və bizim bölgəyə hər hansı təsirindən danışmaq doğru olmaz."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47577454", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47553690", "doc1": "আহত একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন জরুরি দায়িত্বে নিয়োজত কর্মীরা এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন নিশ্চিত করেছিলেন যে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি দেশটির ইতিহাসের \"কালো দিনগুলোর\" একটি। পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরও হামলাকারী পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন আটককৃতদের একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একজন \"মৌলবাদী, অতি-ডানপন্থী সহিংস সন্ত্রাসী\" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর আগে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় এই শহরটির পরিস্থিতিকে পুলিশ \"সংকটময় ঘটনা\" হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছে। আল নূর মসজিদ ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার পর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশী নিহত বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে সেখানে বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমার ভুইয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনজন বাংলাদেশীর পরিচয় সম্পর্কেই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের দূতাবাস এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছে। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান মি. ভুইয়া। এছাড়া, হামলার ঘটনার পর দু'জন বাংলাদেশী নিখোঁজ ছিলেন, তবে এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে দূতাবাস নিশ্চিত হয়েছে। আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে অনেক মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আল নূর নামের ওই মসজিদটি ডিন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত এবং এটি হ্যাগলি পার্কের মুখোমুখি। এই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়তে পাওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। হ্যাগলি পার্কেই অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানেই বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দলের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয় দুই দলের সম্মতিতে ১৬ই মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটাররাও লিখেছেন এই হামলার ঘটনার পর। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, \"ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় আল্লাহ আজ আমাদের রক্ষা করেছেন...আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।\" বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা খুব অল্পের জন্য ওই গোলাগুলির ঘটনা এড়াতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন \"পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।\" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে তারা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,\"তারা নিরাপদে আছেন, কিন্তু মানসিকভাবে তারা ধাক্কা খেয়েছেন। আমরা তাদেরকে হোটেল থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।\" ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছেন জানিয়ে দলের টুইটার পেজ থেকে পোস্ট দেয়া হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক মোহাম্মদ ইসাম টুইটারে লিখেছেন, \"তারা (ক্রিকেট দল) হ্যাগলি পার্কের কাছে একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা থেকে বাঁচতে পেরেছেন।\" শহরের পরিস্থিতি ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা একজন বন্দুকধারীর হাত থেকে নিজেদের জীবন বাঁচার জন্য প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছিলেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোহন ইব্রাহীম নামে একজন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রকে বলেছেন, \"শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এটা হয়তো বৈদ্যুতিক শকের কোনও ব্যাপার, কিন্তু একটু পরেই সবাই দৌড়াতে শুরু করলো\"। বন্দুকধারীর হামলার পর পুলিশ একে \"সংকটময় ঘটনা\" বলে সতর্ক করেছে। \"এখনো ভেতরে আমার বন্ধুরা রয়েছে\" এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, \"আমি আমার বন্ধুদের ডাকতে থাকি কিন্তু সেখানে অনেকেই আছে, কারও কথা শুনতে পারিনি। আমার বন্ধু বেঁচে আছে কি-না সেটা নিয়ে আমি আমি ভীত।\" শহরতলীর লিনউড এলাকার আরও একটি মসজিদ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্যাথেড্রাল স্কয়ারে হাজার খানেক শিশুর জলবায় পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করছেন। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে এবং রাস্তায় নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।", "doc2": "Özünü ağdərili şovinist kimi təqdim edən 28 yaşlı avstraliyalı Brenton Tarrant törətdiyi hücumu Facebook səhifəsində yanlı yayımlayıb. Hadisədən sonra həbs olunmuş digər üç nəfərin hücumla əlaqəsi olmayıb, polis komissarı Mike Bush deyib. Christchurch şəhərində hücum nəticəsində həlak olmuş 50 insanın xatirəsi yad edilib, ölənlərdən birinin nəşinin dəfn olunmaq üçün veriləcəyi gözlənilir. Xəstəxanalara yerləşdirilmiş 34 nəfərin müalicəsi davam edir, onlardan bir neçəsinin ağır güllə yarası var. Dördyaşlı qızın vəziyyəti kririkdir. Həlak olanların nəşi çərşənbəyədək veriləcək Yeni Zelandiyanın Baş naziri Jacinda Ardern bəyan edib ki, \"silah haqqında qanuna dəyişikliklər ediləcək\". Bazar günü jurnalistlərə danışan Jacinda Ardern deyib ki, onun təbirincə, \"terror aktının\" qurbanlarının xatirəsi çərşənbə axşamı parlamentdə anılacaq. O qeyd edib ki, həlak olanların nəşi ailələrinə çərşənbə gününədək veriləcək. Jacinda Ardern deyib ki, hücumun canlı yayımı üçün istifadə edilən Facebook kimi sosial mediaların rolu ilə bağlı \"cavablandırılmalı suallar var\". Onun sözlərinə görə, bu cür platformalar \"geniş əhatəlidir\" və bu problem \"təkcə Yeni Zelandiya ilə bitmir\". Facebook bildirib ki, hücum hadisəsindən sonrakı 24 saat ərzində törədilmiş hücumu göstərən 1,5 milyon video bu platformadan silinib. Jacinda Ardern təsdiqləyib ki, hücuma 9 dəqiqə qalmış onun ofisi şübhəlidən gəlmiş sənəd alıb, lakin həmin sənəddə məkanla bağlı konkret məlumatlar omlayıb. O deyib ki, həmin sənəd iki dəqiqə ərzində təhlükəsizlik xidmətllərinə ötürülüb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51661521", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51727191", "doc1": "মাজারে স্প্রে করা হচ্ছে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ইরান সরকার বুধবার বলেছে, এখন পর্যন্ত উনিশ জন মারা গেছে ও ১৩৯ জন সংক্রমিত হয়েছে। যদিও ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সংখ্যা আরও অনেকগুণ বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো অবস্থা পর্যালোচনা করা ও কী ধরণের সহায়তা দরকার সেটি নিরূপণ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল ইরান যাবে এ সপ্তাহেই। বিবিসি মনিটরিং বলছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন পুরো শহর কোয়ারেন্টিন করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। কোম শহরে - যেখানে ভাইরাস সংক্রমণ মহামারির আকার নিয়েছে - সেখানকার ধর্মীয় মাজারগুলো এখনো খোলা আছে। এর মধ্যে আছে হযরত মাসুমেহ'র মাজার - যেখানে লাখ লাখ শিয়া মুসলিম সমবেত হয়। জনসাধারণকে কোথাও অপ্রয়োজনীয় জমায়েত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং কোম শহরে না যেতেও বলা হচ্ছে। কিন্তু শহরের ধর্মীয় স্থাপনাগুলো - যেখানে বহু মানুষ জমায়েত হয় - সেগুলো বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর 'সুযোগ সংকীর্ণ' হয়ে আসছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে? করোনাভাইরাস: শিশুরা কেন অসুস্থ হচ্ছে না? সৌদিতে ওমরাহ মানা বিদেশীদের, কিছু দেশের জন্য পর্যটন ভিসা স্থগিত সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে শুক্রবারের প্রার্থনা বাতিল হয়নি হযরত মাসুমেহ মাজারের তত্ত্বাবধায়ক বলেছেন, মানুষ ব্যক্তিগত দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তিলাভের জন্য সেখানে যায় - তাই এটা বন্ধ হতে পারেনা। \"মাজারগুলো বন্ধ করা হবে একটি বড় পদক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া সেটি কেউ করতে চাইবেনা,\" বলছিলেন বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের রানা রহিমপুর। তেহরানে চা আর কফির দোকানগুলোতে শিশা বা নল-লাগানো হুঁকো সেবন নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এই শিশার পাইপগুলো বেশিরভাগ সময় অনেকে মিলে একযোগে কিংবা একজনের পর একজন ব্যবহার করে ধূমপানের জন্য। আক্রান্ত প্রদেশে স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে এবং বাতিল করা হয়েছে খেলা কিংবা সিনেমার প্রিমিয়ার শো। 'গুজব' ছড়ালেই গ্রেফতার এএফপি জানিয়েছে, অনলাইনে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চব্বিশ জনকে এ পর্যন্ত আটক করেছে ইরান সরকার। সতর্ক করা হয়েছে আরও ১১৮ জনকে, জানিয়েছেন ইরানের সাইবার পুলিশ প্রধান ভাহিদ মজিদ। ইরানের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান পর্যাপ্ত মেডিকেল উপকরণ আছে? করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিক কিট ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চারটি জাহাজে এসব আসার কথা নিশ্চিত করেছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে উপকরণ-স্বল্পতায় উদ্বেগ আছে বহু ইরানির মধ্যেই। আমদানিকারকরা অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা মেডিকেল উপকরণ বিশেষ করে ভাইরাস পরীক্ষার কিট আমদানি করতে পারছেননা। \"করোনাভাইরাস টেস্ট কিট সরবরাহ করতে অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানিই প্রস্তুত আছে, কিন্তু আমরা তাদের অর্থ পাঠাতে পারছিনা,\" বলছিলেন রহিম ফাল্লাহ, আমদানিকারকদের সংগঠনের একজন নেতা। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য মেডিকেল সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের একজন নারী মাস্ক পরেই বাইরে যাচ্ছেন মুখের মাস্কের খবর কী দেশে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষাপটে ইরানিরাও ফার্মেসিগুলোয় ভিড় করছে মাস্ক, জীবাণুমুক্ত করার জেল ও স্প্রে'র জন্য। যেসব দোকানে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অন্তত দশ গুণ বেশি দামে এগুলো বিক্রি হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন দাবিও করা হচ্ছে যে এসব সামগ্রীর মুল কারণ হলো, কয়েক সপ্তাহ আগে এসব সামগ্রী বিপুল পরিমাণে চীনকে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, ইরান দু-দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ত্রিশ লাখ মাস্ক দিয়েছে চীনকে। এর বাইরে চীনা কোম্পানিগুলোও ইরান থেকে এসব সামগ্রী কিনে নিয়েছে যা স্থানীয় বাজারে সংকট তৈরি করেছে। ইরান সরকার এখন বলছে, মুখের মাস্ক রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন মাসের জন্য এবং কারখানাগুলোকে দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানুষ দেশ ছাড়ছে? ইরান এখনো বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেনি, তবে প্রতিবেশী তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরাক তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তুরস্ক ও আরব আমিরাত ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান সরকার বলছে, চীনের ফ্লাইট ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত আছে। তবে ফ্লাইট রেকর্ড বলছে, অন্তত নয়টি ফ্লাইট তারপরেও চলাচল করেছে দু-দেশের মধ্যে।", "doc2": "BBC News Farsca-dan olan həmkarlarımızın köməyi ilə İranda bu səpkidə baş verənləri anlamağa çalışdıq. Yoluxanlar nə qədərdir? Çindən sonra bu virusdan ən çox ölüm halları İranda qeydə alınıb və xəstəlik hallarının sayı artmaqdadır, lakin gerçək rəqəmlərin daha yüksək olacağı gözlənilir. Dünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) heyəti vəziyyəti qiymətləndirmək və yardım tədbirlərini təmin etmək üçün bazar ertəsi günü İrana gedib. Karantin məhdudiyyətləri tətbiq olundumu? Epidemiyanın mərkəzində olan müqəddəs Qum şəhərində dini ziyarətgahlar hələ də açıqdır. Ən çox ehtiram göstərilən Həzrəti Məsumə ziyarətgahına hər il dünyanın hər yerindən milyonlarla şiə müsəlman zəvvar gəlir. Artıq bu məbəd kompleksinə girişə bəzi məhdudiyyətlər qoyulub. İnsanlara əl təmizliyi üçün gellər, sağlamlıq məlumatları və üz maskaları verildikdən sonra ziyarətə icazə verilir. İnsanlara lazımsız yığıncaqlardan çəkinmələri tövsiyə edilib və Quma gəlməmək xahiş olunub, ancaq şəhərdə dini komplekslərin birbaşa bağlanması halları olmayıb. Həzrəti Məsumə türbəsinin mühafizəçisi deyib ki, insanlar bu məbədə müalicə və bərpa mənbəyi kimi baxır, odur ki, bu kompleksin qapanması mümkün deyil. \"Məbədin bağlanması ruhanilər üçün ciddi bir addım olardı və beynəlxalq təzyiq altına düşməyənədək onların belə qərar verəcəkləri ehtimalı azdır\", - BBC News Farscadan Rana Rahimpour deyir. Tehran polisi, şəhərdəki qəhvə dükanlarında və çayxanalarda qəlyanlardan istifadə edilməsini qadağan edib. Həmin qəlyanlar çox vaxt qrup şəklində çəkilir və insandan insana ötürülür. Virusun yayıldığı bölgələrdə məktəblər və universitetlər bağlanıb, Tehranda və bir sıra digər şəhərlərdə cümə namazı ləğv edilib. İdman matçları, sərgilər və film premyeraları da təxirə salınıb. İran Prezidenti Həsən Ruhani bildirib ki, böyük və kiçik şəhərlərin bütün ərazisində karantin tətbiq etmək planları yoxdur. İranda kifayət qədər tibbi avadanlıq varmı? ÜST İranı səhiyyə işçiləri üçün diaqnostik avadanlıq və qoruyucu vasitələrlə təchiz edir. Təşkilat 15000 səhiyyə işçisini dəstəkləmək üçün təxminən 7.5 ton tibbi ləvazimat və təxminən 100000 insanı müayinə edə biləcək 1000 müayinə dəsti göndərdiyini söyləyir. ÜST ekspertlərindən ibarət bir qrup da İrana gəlib. Səhiyyə rəsmiləri 300000 qrup üzvlərinin qapı-qapı gəzərək tibbi müayinə keçirəcəklərini açıqlayıb. Lakin bir çox iranlılar avadanlıq çatışmazlığından narahatdırlar. Yerli müxbirlərin xəbər verdiyinə görə, iranlı bir tibb avadanlığı idxalçısı deyib ki, ABŞ-ın tətbiq etdiyi sanksiyalara görə tibbi analiz dəstlərini ala bilməyib. \"Bir çox beynəlxalq şirkətlər İranı koronavirusa qarşı analiz dəstləri ilə təmin etməyə hazırdır, lakin biz onlara pul göndərə bilmirik\", Ilna xəbər agentliyi İranın Tibbi Təchizatçılar Birliyi İdarə Heyətinin üzvü Ramin Fallahın dediklərini iqtibas edib. ABŞ, İrana qarşı tətbiq etdiyi sanksiyalarının İranın tibbi ləvazimatlar idxal etmək imkanlarını məhdudlaşdırdığını rədd edərək humanitar mallar üçün istisnaların edildiyini xatırladıb. Dövlət katibi Mike Pompeo deyib ki, ABŞ İrana virusun öhdəsindən gəlmək üçün humanitar yardım təklif edəcək. Lakin İran deyir ki, şirkətlər ABŞ qaydalarını pozmaq və sanksiyalar riski altına düşmək istəməyən banklarla ödənişlər həyata keçirməkdə çətinlik çəkirlər. Hökümət Covid-19 virusuna 100-dən çox yoluxma halının qeydə alındığını bildirib Üz maskaları ilə bağlı vəziyyət necədir? Virusun sürətlə yayıldığı digər ölkələrdə olduğu kimi, iranlılar da tibb maskaları, dezinfeksiyaedici gel və spreylər almaq üçün apteklərdə növbəyə düzülürlər. Tapılanda bu məhsulların qiyməti adi vaxtlarda olduğundan 10 qat fərqlənir. Sosial mediadakı bəzi istifadəçilərin qeyd etdiyinə görə, maska çatışmazlığının səbəbi bir neçə həftə əvvəl milyonlarla maskanın İran tərəfindən Çinə ianə kimi verilməsi olub. İRNA xəbər agentliyinin məlumatına görə, İran Çinə \"iki ölkə arasındakı uzunmüddətli və ənənəvi dostluğun əlaməti olaraq\" üç milyon maska bağışlamışdı. Yerli mənbələr də hesab edir ki, Çin şirkətlərinin İrandan böyük miqdarda maskaları alması daxili bazarda qıtlığın yaranmasına gətirib çıxarır. İran hökuməti üç ay müddətinə tibbi maskaların ixracını qadağan etdiyini və fabriklərə istehsalın artırılmasına dair əmr verdiyini bildirib. \"Şayiə yaymağa\" görə həbslər AFP xəbər agentliyinə görə, İran polisi internetdə koronavirus barədə şayiə yaymaqda ittiham olunan 24 nəfəri həbs edib. Daha 118 nəfər internet istifadəçisinə \"şifahi xəbərdarlıq edilib və onlar sərbəst buraxılıb\", İranın kiberpolis qüvvəsinin rəhbəri Vahid Məcid deyib. Pakistan İranla səhədini bağlayıb İnsanlar ölkəni tərk edirlərmi? İran xarici səfərləri qadağan etməyib, lakin Türkiyə, Pakistan və İraq və Azərbaycan da daxil, qonşu ölkələr sərhədlərini bağlayıb. Azərbaycan, Türkiyə və Birləşmiş Ərəb Əmirlikləri İrandan uçuşları dayandırıb. Bu ölkələr qeyri-neft ixracı üçün vacib istiqamətlərdir və bunun nəticəsində İran iqtisadiyyatına zərər dəyə bilər. İran hökuməti Çinə uçuşların fevralın 2-də dayandırıldığını bildirib. Lakin uçuş qeydlərindən irəli gələn nəticələrə əsasən, İran və Çin arasında o vaxtdan bəri ən azı doqquz uçuş reysi həyata keçirilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2016/03/160308_bd_internatipnal_women_day_model_in_adevrt_household_role", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-56315609", "doc1": "বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারীরা রাখছে অনবদ্য ভূমিকা। এমন সময় এই দিবসটি পালন হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এবং কর্মক্ষেত্রে সম মজুরির জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এছাড়া সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গিরও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বিজ্ঞাপনে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তা খুবই বৈষম্যমূলক এবং নারীর জন্য অবমাননাকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক শেখ মাহমুদা সুলতানা মনে করেন “নারীর অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনগুলোতে তাদের যেভাবে দেখানো হয় তা কোনওভাবেই যৌক্তিক নয়”। “আপনি দেখবেন বিজ্ঞাপনগুলোতে নারীদের অবস্থান মূলত অন্দরমহলে। খেয়াল করে যদি দেখি তাহলে আমরা দেখি নারীদের বড় একটা অংশ বাড়ির পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যস্ত আছেন”। বাথরুম পরিস্কারের একটি বিজ্ঞাপনে নারী। “আক্ষরিক অর্থেই নারীদের বিজ্ঞাপনে মেঝে বা বাথরুম পরিস্কারের মধ্যেই আটকে রাখা হচ্ছে। নারী মডেলদের বেশিরভাগ অংশই দর্শকদের সামনে শারিরীকভাবে একদমই বাথরুমে অবস্থান করেন”-বলেন মিস সুলতানা। “এছাড়া একটি সম্মানজনক পরিসরে হয়তো তাদের দেখা যায় তা হলো বাড়ির রান্নাঘর বা ডাইনিং টেবিল । বাড়ির সদস্যদের কোনও একটি নির্দিষ্ট মসলা বা তেল দিয়ে রেঁধে খাইয়ে তারা অনেক প্রশংসা পান”। আর বিজ্ঞাপনে পুরুষদের অবস্থান নিয়ে শেখ মাহমুদা সুলতান বলেন \"বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বিজ্ঞাপনে পুরুষেেরা খাবার সামনে নিয়ে বসে আছেন, নারীটি দাড়িয়ে আছেন এবং তিনি খাবার বেড়ে দিচ্ছেন। নারী মূলত সেবা দিচ্ছেন\"। \"অন্যের জন্য কিছু করতেই তিনি সবসময় ব্যস্ত আছেন এমন একটি ভূমিকাতেই তাদের আটকে থাকতে দেখি। সেটাতো আসলে কোনভাবে যৌক্তিক হতে পারেনা\"। তাহলে কি বিজ্ঞাপনে নারীর এমন উপস্থাপন সমাজে নারীর ভূমিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? শেখ মাহমুদা সুলতানা মনে করেন ‘এটি নেতিবাচক প্রভাবই’। বাংলাদেশের কৃষিকাজে নারীরা বড় একটি ভূমিকা পালন করছে। “কারণ গণমাধ্যম শেখানো ও প্রচারণার একটা ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের বড় একটা কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। তো সেদিক থেকে দেখতে গেলে গণমাধ্যম নারীকে যেভাবে দেখাচ্ছে বা দেখতে শেখাচ্ছে সেখানে নারীর সত্যিকারের অবস্থান উঠে আসছেনা। সমাজ বিকাশে নারীর যে অবদান সেটা স্বীকৃতি যেমন পাচ্ছেনা আমরা ভোক্তা শ্রেণীও নারীকে সেভাবেই দেখতে শিখছি। এটাতো নেতিবাচকই। সেক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি কে নিয়ন্ত্রণ করবে? মিস সুলতানা বলেন “সরকারের এক্ষেত্রে বড় করণীয় আছে। যেমন একটি নীতিমালা হতে পারে। আর নীতিমালা হলে আমরা বুঝতে পারবো সরকার আসলেই নারীকে পণ্য হিসেবে দেখতে চাননা। যারা এ বিজ্ঞাপন নির্মাণের সাথে জড়িত তাদের নিয়ে সরকার বসতে পারেন, ভোক্তা শ্রেণীর সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা তৈরি হলে সরকারের প্রয়াস নির্মাতা শ্রেণীও হয়তো আন্তরিকভাবে নিবেন এবং বদল ঘটানোর ব্যাপারে আন্তরিক চেষ্টা করবেন”।", "doc2": "Beynəlxalq Qadınlar Günü dünyaya gender bərabərliyinə əməl etməyin zəruriliyi haqda xatırlatmaq üçün çox yaxşı fürsətdir Rusiyada bu, ən sevimli və kütləvi qeyd edilən bayramlardan biridir, hərçənd onun məzmunu metamorfoza uğrayıb: təntənə ilə qabaqcıl istehsalatçı və fəal qadının ideoloji təbrik etmə günündən sevgi və ailə dəyərləri gününə çevrilib. Postsovet məkanından kənarda bu gün o qədər də populyar deyil, baxmayaraq ki, bu barədə çoxları eşidib və BMT tərəfindən xüsusi gün kimi tanınıb. Bəs bu günün qeyd edilməsi nə üçün uydurulub və niyə məhz martın 8-də? Bu nədir - bayram, yoxsa etiraz? Və Beynəlxalq kişilər gününə gəldikdə, necə? Biz bu suallara cavab verməyə çalışmışıq. 1. Hər şey nədən başlayıb? Beynəlxalq Qadınlar Gününü bayram etməyi 1910-cu ildə Klara Setkin təklif edib 1 May kimi, 8 Mart bayramı fəhlə hərəkətindən yetişib və amerikan kökləri var. 1908-ci ildə 15 qadın iş gününün qısaldılması, əməkhaqqının artırılması və səsvermə hüquqları tələbi ilə Nyu-Yorkda nümayişə çıxıb (əksər ştatlarda qadınlar bu hüququ 1920-ci ildə əldə ediblər, ABŞ Konstitusiyasında 19-cu düzəliş qəbul olunduqdan sonra). Ertəsi il Amerika Sosialist Partiyası fevralın son bazar gününü Zəhmətkeş Qadınlar Günü kimi tanımağı təklif edib. 1910-cu ilin avqustunda tanınmış Almaniya sosial-demokratiya xadimi Klara Setkin Kopenhagendə konfransda Qadın Bərabərliyi və Emansipasiyası uğrunda Beynəlxalq Mübarizə gününü təsis etməyi təklif edib. 17 ölkədən yüzə yaxın konfrans iştirakçısı təşəbbüsü yekdilliklə dəstəkləyir. 1911-ci ildə onu ilk dəfə Almaniya, Avstriya-Macarıstan, Danimarka və İsveçrədə qeyd ediblər. 2. Niyə 8 martda? Türkiyənin Diyarbakır şəhərində 8 mart 2016-cı ildə nümayiş Hər şeyin başlanğıcı olan Nyu-York nümayişi fevralın 28-də olub. Klara Setkin konkret tarix deməyib. Qadınlar günü Almaniyada ilk dəfə, Prussiyada 1848-ci il Mart İnqilabı ilə əlaqədar, martın 19-da bayram edilib. Sonra müxtəlif ölkələrdə Qadınlar Gününü martın 2-si, 9-u və 12-si martda, eləcə də 2-si və 12-si mayda qeyd ediblər. 8 mart tarixi beynəlxalq solçu hərəkatına Rusiyadan gəlib. 1917-ci ildə bu gün (köhnə tarix stili ilə fevralın 27-də) Petroqradda \"Çörək və sülh!\" tələbi ilə Vıborq rayonu toxuma fabrikləri işçi qadınlarının sonradan inqilaba çevrilmiş tətili başlayıb. Bir həftə sonra imperator taxtından imtina edib. Sovet hakimiyyətinin ilk illəri Vıborq toxucu qadınları çarizmin devrilməsinin ilk təşəbbüsçüləri kimi alqışlayırdılar. Sonradan Fevral inqilabı bolşevik Oktyabr inqilabının kölgəsində qalıb və bu hal SSRİ-də nəzərə çarpdırılmayıb. 1975-ci ildə BMT Baş Assambleyası martın 8-ni qadınların bütün həyat sahələri və bərabərsizlik qalıqlarına qarşı etirazda nailiyyətlərinin bayram etmə günü elan edib. 3. 8 Martın öz rəngləri varmı? Beynəlxaq Qadın Gününün rəngi bənövşəyi hesab edilir, çünki ləyaqət və ədaləti simvolizə edir Var, hərçənd Rusiyada praktik olaraq bu barədə bilmirlər. Bu, bənövşəyi (ya firfir), yaşıl və ağ rənglərdir. Onları bərabərlik uğrunda mübarizə simvolu kimi Britaniya Qadın Sosial-siyasi Birliyi 1908-ci ildə təklif edib. Firfir ədalət və ləyaqət, yaşıl - ümid, ağ - saflığı səciyyə edir. 4. Beynəlxalq Kişilər Günü varmı? Beynəlxalq kişilər günü də mövcuddur, lakin o, 8 Martın kölgəsində qalıb Bəli, var, o, noyabrın 19-da, Birləşmiş Krallıq da daxil olmaqla, 80-dən çox ölkədə qeyd olunur, bayxmayaraq ki, BMT tərəfindən formal olaraq tanınmayıb. Bununla belə kişilərin sağlamlığının möhkəmləndirilməsi və onların müasir ailədə roluna xüsusi diqqət yetirilir. Rusiyada kişi və oğlanları 23 fevralda təbrik edirlər. Rəsmən bu - hərbçilər və silahlı qüvvələrin veteranları günüdür, lakin kütləvi şüurda bu gün adətən bütün kişilərin günü kimi nəzərdən keçirilir. 5. Müxtəlif ölkələrdə 8 Martı necə bayram edirlər? Çoxları üçün 8 Mart bayramı küsdümağacı gülü ilə assosiasiya olunur Rusiyada martın 8-i istirahət günüdür. Qadınlara hədiyyələr və gül bağışlayırlar. Bayram ərəfəsi üç-dörd gündə gül satışı ikiqat artır. Çində qadınların iş günü səkkiz saat əvəzinə dörd saat olur, lakin Çin Xalq Respublikası Dövlət Şurasının bu tövsiyəsi qanun deyil və işverənlərin bir qismi buna əməl etmir. İtaliyada martın 8-də küsdümağacı gülü hədiyyə edirlər. Bu ənənə İkinci Dünya müharibəsindən sonra Romada meydana gəlib, bunun mənbəyi məlum deyil. ABŞ-da mart qadınlar tarixinin ayı sayılır. Hər il prezident bəyanatla çıxış edib Amerika qadınlarının nailiyyətləri və əməyinə haqq qazandırır. Bu il koronovirus pandemiyası ucbatından tədbirlərin bir çox çoxu virtual rejimdə keçiriləcək. 6. Bayram, yoxsa etiraz? Kamala Harris-in ABŞ vitse-prezidenti seçilməsi qadın hərəkatının böyük qələbəsi kimi qarşılanıb Beynəlxalq Qadınlar Günün 2021-ci ildə bayram edilməsinin təşkilatçıları onun üçün şüar kimi #ChooseToChallenge (\"Çağırışı seç\") həştəq təklif ediblər. \"Biz hamımız çağırışı qəbul edib və ucadan gender mövhumatları və bərabərsizliyi barədə bəyan edə bilərik. Biz hamımız qadın nailiyyətlərini axtarıb tapıb və şöhrətləndirə bilərik. Biz ümumi səylərimizlə daha ədalətli dünya yarada bilərik\", - təşkilatçıların bəyanatında deyilir. 7. Bu, nə üçün lazımdır? Qırğızıstanda qadın hüquqları uğrunda mübarizə fəallarının 2020-ci ildə yürüş zamanı həbs edilməsi növbəti dəfə bu mübarizənin vacibliyini xatırladır \"Gender bərabərliyi hələ yüz il əldə edilməyəcək, - təşkilatçıların bayram bəyanatında deyilir. - Heç birimiz və yəqin ki, övladlarımızdan bəlkə də heç biri o vaxta qədər yaşamayacaq\". \"BMT-qadınlar\" proqramının məlumatına görə, koronovirus pandemiyası gender bərabərliyi uğrunda 25 illik mübarizəni heçə çıxardıb. Qapanmalar ucbatından bütün dünyada qadınlar evdə daha çox iş görməyə məcburdur, onlar karyera və maariflənmə imkanlarını itirirlər. Koronavirusa baxmayaraq, bir il əvvəl bir çox ölkədə etiraz yürüşləri keçirilib. Əksər hallarda onlar sakit keçib, ancaq Qırğızıstan paytaxtı Bişkekdə polis onlarla fəalı həbs edib, bundan əvvəl isə, məlumatlara görə, onlara maskalı naməlum adamlar hücum edib. İctimai fəallar ölkədə qadın hüquqları ilə bağlı vəziyyətin daha da pisləşdiyini bildirir. Pakistanda bir sıra şəhərlərdə nümayişlər zorakılıq hədələri və hüquq-mühafizə orqanları tərəfindən təqiblərlə müşayiət olunub. Mexikoda qadınlara qarşı zorakılıq əleyhinə 80 minlik nümayiş polislə toqquşmalarla nəticələnib. Kimsə hüquq-mühafizəçilərin üstünə benzinlə butulkalar atmağa başlayıb, cavabında onlar gözyaşardıcı qazdan istifadə ediblər. 60 nəfərə yaxın insan xəsarət alıb. Son illər qadın bərabərliyi işində tərəqqi müşahidə olunub və onun uğrunda mübarizə geniş vüsət alıb. ABŞ-da tarixdə ilk dəfə qadın və dəri rəngi fərqli olan əhali nümayəndəsi - Kamala Harris - vitse-prezident təyin olunub. 2019-cu ildə Finlandiyada beş qadın başda olmaqla koalisiya hökuməti formalaşdırılıb. Şimali İrlandiya abortları leqallaşdırıb, Sudan qadına necə geyinməyi və camaat arasında necə davranmağı müfəssəl diktə edən qanunu ləğv edib. Nəhayət, 2017-ci ildə meydana gələn #MeToo hərəkatı yolverilməz cinsi təcavüzə qarşı qlobal faktor olmaqda davam edir və bir sıra günahkarların mühakiməsinə nail olmağa imkan verib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54337735", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-54241548", "doc1": "আজারবাইজানের আর্টিলারি আজারবাইজানের অন্তত একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ফেলে দিয়েছে আর্মেনিয়ার বাহিনী। দুই তরফ থেকেই জানানো হয়েছে, এই লড়াইয়ে কিছু বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কিন্তু কোন দেশের সামরিক শক্তি কতটা? বিশ্বে দেশগুলোর সামরিক শক্তির যে তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার, তাতে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের শক্তির একটি ধারণা পাওয়া যায়। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে আজারবাইজানের অবস্থান ৬৪, অন্যদিকে আর্মেনিয়ার অবস্থান ১১১-এ। আজারবাইজানের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৬ হাজার হলেও আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৩০ লাখ ৩৮ হাজার। আয়তনের দিক থেকেও যেখানে আর্মেনিয়া মাত্র ২৯,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার, সেখানে আজারবাইজানের আয়তন প্রায় তিনগুণ ৮৬, ৬০০ বর্গকিলোমিটার। দুই দেশের মধ্যে সামরিক শক্তির প্রধান পার্থক্যগুলো কোথায়? সৈন্য সংখ্যা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর মোট সদস্য ১ লাখ ২৬ হাজার। তাদের সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৩ লাখ কর্মী। সেই তুলনায় আর্মেনিয়ার সৈন্য সংখ্যা অর্ধেকের কম। দেশটিতে কর্মরত সৈন্য রয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার। সংরক্ষিত সেনা সদস্য হিসাবে রয়েছে ২ লাখ সদস্য। ১৯৯০ এর দশকে আজারবাইজানের সেনা অভিযানকে ঠেকিয়ে দিয়েছিল আর্মেনীয়রা প্রতিরক্ষা বাজেট এই ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে সামরিক খাতের বাজেটেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। আজারবাইজানের সামরিক বাজেট আর্মেনিয়ার প্রায় দ্বিগুণ। আজারবাইজান যেখানে সামরিক খাতে ব্যয় করে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার, সেখানে আর্মেনিয়া ব্যয় করে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এয়ারক্রাফট আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীতে মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা ১৪৮টি। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার এয়ারক্রাফট রয়েছে ৬৪টি। এর মধ্যে আর্মেনিয়ার কোন যুদ্ধবিমান নেই, তবে হামলায় ব্যবহার উপযোগী অ্যাটাক এয়ারক্রাফট রয়েছে নয়টি। অন্যদিকে আজারবাইজানের যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৭টি। এর বাইরে তাদের অ্যাটাক এয়ারক্রাফট আছে ১২টি। হেলিকপ্টার হেলিকপ্টারের সংখ্যার দিক থেকে আজারবাইজান এগিয়ে থাকলেও আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে আর্মেনীয়। আজারবাইজানের হেলিকপ্টার রয়েছে ৮৮টি, যার মধ্যে ১৭টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। আর আর্মেনিয়ার হেলিকপ্টার রয়েছে ৩৭টি। তার মধ্যে ২০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। সামরিক যান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, সাঁজোয়া যানের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান। তাদের ট্যাংক রয়েছে ৫৭০টি আর আর্মাড কার রয়েছে ১, ৪৫১টি। আর্মেনিয়ার ট্যাংকের সংখ্যা অনেক কম। তাদের মাত্র ১১০টি ট্যাংক রয়েছে। অন্যদিকে তাদের আর্মাড কারের সংখ্যা ৭৪৮টি। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র উত্তেজনা বাড়তে থাকায় আর্মেনীয় সংরক্ষিত বাহিনীর সদস্যদের যোগ দেয়ার জন্য তলব করা হয়েছে আর্টিলারি আর্টিলারির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান। দেশটির স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান রয়েছে ১৮৭টি আর ফিল্ড আর্টিলারি রয়েছে ২২৭টি। আর্মেনিয়ার স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান রয়েছে ৩৮টি আর ফিল্ড আর্টিলারি রয়েছে ১৫০টি। আজারবাইজানের যেখানে রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ১৬২টি সেখানে আর্মেনিয়ার আছে অর্ধেকের কম, ৬৮টি। নৌযান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, আর্মেনিয়ার কোন রণতরী নেই। তবে আজারবাইজানের নৌ বাহিনীর মোট ৩১টি রণতরী রয়েছে। এর মধ্যে আজারবাইজানের একটি ফ্রিগেট, চারটি সাবমেরিন রয়েছে। আর্মেনিয়ার এসব কোন নৌযান নেই। এছাড়া আজারবাইজানের মাইন অপসারণে সক্ষম সাতটি যুদ্ধজাহাজ আর উপকূলে টহল দিতে সক্ষম ১৩টি পেট্রল বোট আছে। দুই দেশের কারোই বিমানবাহী রণতরী কিংবা ডেস্ট্রয়ার নেই। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে জনসংখ্যার প্রতি দশ লাখে ৩০ জনের করোনাভাইরাসে মৃত্যু 'কয়েক মিনিটেই' মিলবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি মামলায় জেএমআই চেয়ারম্যান গ্রেফতার বাসমতি চাল কার- ভারত ও পাকিস্তানের নতুন বিরোধ সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে অন্যান্য আর্মেনিয়ায় মোট ১১টি বিমানবন্দর রয়েছে, যেখানে আজারবাইজানে রয়েছে ৩৭টি। আর্মেনিয়ার কোন বাণিজ্যিক জাহাজ নেই, তবে আজারবাইজানের বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে ৩১৩টি। সড়কপথ, রেলপথ, বন্দরের দিক থেকেও আর্মেনিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে আজারবাইজান। আজারবাইজান তেল সম্পদে সমৃদ্ধ। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বড় একটি অংশ তারা রপ্তানি করে। তবে আর্মেনিয়ার তেল নেই। চাহিদার পুরোটাই তাদের আমদানি করতে হয়। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। শীর্ষ ১০দেশের মধ্যে আরো রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, মিশর এবং ব্রাজিল। সামরিক শক্তির দিক থেকে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা ৪৬তম।", "doc2": "Foreign Policy jurnalı bu gün saytında dərc edilmiş məqalədə, son döyüşlərə Türkiyənin cəlb olunduğunu yazıb. Jurnalda Türkiyə Prezidenti Recep Tayyip Erdoğanın erməni xalqına çağırış edərək, hökumətinin strategiyasına qarşı çıxmağa çağırdığı qeyd olunur: \"Erməni xalqını ... onu fəlakətə sürükləyən və kukla kimi istifadə edən liderlərinə qarşı çıxmağa çağırıram\" deyə Erdoğandan sitat verilib. Məqalədə Türkiyənin Suriyadan Azərbaycana silahlılar göndərməsi iddiaları da yer alıb. Yazıda həmçinin Rusiyanın döyüşləri uzaqdan müşahidə etdiyi qeyd olunur. \"Biz bu tərəfləri atəşi dayandırmağa və vəziyyəti sabitləşdirmək üçün danışıqlara başlamağa çağırırıq\", deyə məqalədə Rusiya XİN-dən sitat gətirilir və Ermənistan Baş naziri Nikol Paşinyanın Vladimir Putinlə telefonla danışdığı qeyd olunur. \"Rusiya Ermənistanın müttəfiqidir və 1994-cü ildə Azərbaycanla müharibə başa çatdıqdan sonra bu ölkəni nəhəng sayda silahla təchiz edib\", deyə Foreign Policy jurnalı yazır. Britaniyanın Express qəzeti \"Avropanın kandarında xaos\" başlıqlı yazısında, əsasən, Türkiyənin Azərbaycana dəstəyi barədə yazıb. \"Türkiyə xəbərdar edib ki, Ermənistan və Azərbaycan sərhədində döyüşlər regionu alovun içərisinə ata bilər,\" qəzet yazır. Bundan başqa, qəzet Türkiyənin \"qardaş Azərbaycana\" dəstəyini ifadə etməsi barədə ətraflı məlumat verir. Guardian qəzeti Ermənistanın hərbi vəziyyət elan etməsi barədə yazır. Qəzet öz saytındankı yazıda qeyd edir ki, Azərbaycan 6 kəndi geri aldığını açıqlayıb, ancaq Ermənistan bu məlumatın doğru olmadığını bildirib. Guardian qeyd edir ki, cənubi Qafqazda davam edən Dağlıq Qarabağ münaqişəsi həm regional, həm də Qərbin narahatlığına səbəb olur, \"çünki bu ərazi Xəzər dənizindən neft və qazı qlobal marketlərə daşıyan kəmərlər üçün dəhlizdir\". Bu qəzet də Türkiyənin Azərbaycana dəstəyini qeyd edir və Rusiyanın Ermənistanla müttəfiq olduğunu, ancaq son illərdə Azərbaycan elitasının da Rusiya ilə əlaqələrinin inkişaf etdiyini vurğulayır. Finanical Times qəzeti döyüşlərə aid məqaləsində hər iki tərəfin bir-birini ittiham etməsini göstərir. Məqalədə Azərbaycanda internetin məhdudlaşdırıldığı və Ermənistanda hərbi vəziyyət elan olunduğu bildirilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52777254", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52767514", "doc1": "জামাল খাসোগজি হাতিস চেংগিস টুইট করে বলেছেন, এ ধরণের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য কখনই কেউ ক্ষমা পতে পারে না। সৌদি সরকারের সমালোচক মি. খাসোগজিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়। সৌদি সরকার এবং রাজপরিবার দাবি করে আসছে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, বরঞ্চ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভেতরের কিছু লোক নিজের সিদ্ধান্তে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে জাতিসংঘ সহ অনেক দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই অজুহাত মেনে নেয়নি। তাদের সন্দেহ - সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ-দাতা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যার দায়ে সৌদি আরবে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? খাসোগজিকে 'কোরবানির পশু' বলে বর্ণনা করেছিল এক ঘাতক খাসোগজি হত্যার দায় সৌদি আরবের: জাতিসংঘ মৃত্যুর আগে জামাল খাসোগজি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। এসব লেখার অনেকগুলোতেই সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলে তার হত্যাকাণ্ডের পর তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ নানারকম তত্ত্ব প্রচারের পর একসময় শিকার করে তাকে কনসুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। তাকে দেশে নিয়ে আসার জন্য পাঠানো একটি গোয়েন্দা দল তাকে হত্যা করেছে। গত বছর ডিসেম্বরে রিয়াদে এক গোপন বিচারকার্যের পর পাঁচজনকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেসময় জাতিসংঘের একজন র‌্যাপের্টিয়ার অ্যাগনেস কালামার্ড মন্তব্য করেছিলেন, “বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।“ হাতিস চেংগিস কী বলেছেন খাসোগজির বাগদত্তা? শুক্রবার হাতিস চেংগিজ টুইটারে লেখেন, জামাল খাসোগজি এখন একজন “আন্তর্জাতিক প্রতীক, তিনি আমাদের সবার ঊর্ধ্বে, ভালোবাসা এবং সম্মানের পাত্র তিনি।“ সুতরাং তার হত্যাকারীদের এভাবে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না। মিস চেংগিজ লেখেন, “তার বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়ে জামাল তার দেশের কনসুলেটের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাকে লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে লোক যায়।“ তিনি বলেন, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের হোতাদের ক্ষমা করে দেওয়ার অধিকার কারো নেই, এবং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ করবেন না। কী বলছেন খাসোগজির সন্তানরা? সালাহ খাসোগজি নামে নিহত জামাল খাসোগজির যে ছেলে জেদ্দায় থাকেন তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বাবার হত্যাকাণ্ডের পর যুবরাজ সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করছেন সালাহ খাসোগজি তাতে বলা হয়, “পবিত্র রমজানে মাসের পবিত্র রাতে আমরা সৃষ্টিকর্তার বাণী স্মরণ করছি :‘কেউ যদি ক্ষমা প্রদর্শন করে এবং মীমাংসা করে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন।‘ “সুতরাং শহিদ জামাল খাসোগজির পুত্ররা ঘোষণা করছি যে যারা আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে তাদের আমরা ক্ষমা করে দিচ্ছি, এবং আল্লার সন্তুষ্টি কামনা করছি।“ ইসলামি শারিয়া আইনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন যিনি তার নিকট পরিবার ক্ষমা করলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড রহিত করা যেতে পারে। এর আগে সালাহ খাসোগজি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সৌদি সরকারের তদন্তের ওপর তার আস্থা রয়েছে। অতীতে তিনি এমন বিবৃতিও দিয়েছেন যে তার বাবার মৃত্যুকে পুঁজি করে সৌদি আরবের বিরোধীরাণ্ডের সৌদি নেতৃত্বকে খাটো করতে চাইছে। গত বছর ওয়াশিংটন পোস্টে রিপোর্ট বের হয়েছিল যে বাবার মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসাবে জামাল খাসোগজির সন্তানরা সৌদি সরকারের কাছ থেকে বাড়ি এবং মাসোহারা পাচ্ছেন।", "doc2": "Birləşmiş Millətlər Təşkilatının xüsusi məruzəçisi Agnes Callamard Səudiyyə məhkəmə prosesini \"ədalətin antitezi\" adlandırıb və müstəqil istintaqın təşkilinə çağırıb. Səudiyyə hökumətinin sərt tənqidçisi olan Kaşıkçı 2018-ci ilin oktyabrında ölkəsinin İstanbuldakı konsulluğunda öldürülüb. Səudiyyə rəsmiləri onun ölümünün \"yaramaz əməliyyat\" nəticəsində baş verdiyini və bu barədə dövlət tərəfindən sanksiya verilmədiyini müdafiə edirlər. Lakin onların hadisələrlə bağlı hesabatı beynəlxalq səviyyədə, bəzi xüsusi xidmət orqanları və BMT tərəfindən də şübhə altına alınıb. Kaşıkçı ölümündən əvvəl Washington Post qəzetinə yazır və ABŞ-da yaşayırdı. Onun yoxa çıxması ilə bağlı dəyişkən hesabatlar təqdim edəndən sonra, Səudiyyə hakimiyyəti sonda onun ölkəyə qayıtarılması üçün tapşırılan verilən bir qrup tərəfindən uğursuz əməliyyat zamanı öldürülüdüyünü bildirib. 2019-cu ilin dekabrında Riyad şəhərində gizli keçirilən məhkəmə prosesindən sonra Kaşıkçının öldürülməsindəki roluna görə adı çəkilməyən beş nəfər edam cəzasına məhkum edilib. Birləşmiş Millətlər Təşkilatının xüsusi məruzəçisi Agnes Callamard Səudiyyə məhkəmə prosesini \"ədalətin antitezi\" adlandırıb və müstəqil istintaqın təşkilinə çağırıb. Kaşıkçının ailəsi nə deyib? Bəyanat cümə günü mərhum jurnalistin övladlarından biri olan Salah Kaşıkçının Twitter hesabında dərc olunub. \"Bu mübarək ayın (Ramazan ayının) bu mübarək gecəsində Allahın dediyini xatırlayırıq: Bir insan bağışlayarsa və barışdırarsa, onun mükafatı Allah tərəfindəndir\", - Səudiyyə Ərəbistanının Ciddə şəhərində yaşayan Salah yazıb. \"Buna görə də, biz, şəhid Camal Kaşıkçının övladları, atamızı öldürənləri qüdrətli Allahdan mükafat diləyərək bağışladığımızı elan edirik.\" Salah Kaşıkçı (solda) qətldən sonra vəliəhd şahzadə Məhəmməd bin Salmanla görüşərkən İslam qanunlarına görə, ölüm hökmləri, qurbanın ailəsi tərəfindən bağışlanmaq şərtilə yumşaldıla bilər, ancaq bu qaydanın hazırki halda tətbiq edilib-edilməyəcəyi açıqlanmır. Salah bundan əvvəl Səudiyyə istintaqına inandığını və dəstəklədiyini ifadə edən açıqlamalar vermişdi. O, həmçinin atasının ölümündən ölkə rəhbərliyini sarsıtmaq üçün istifadə etdiyini söylədiyi Səudiyyə Ərəbistanının \"əleyhdarları və düşmənləri\"ni tənqid edib. Keçən il Washington Post qəzeti Kaşıkçının uşaqlarının atalarının öldürülməsinə görə təzminat olaraq ev və aylıq ödəniş aldıqlarını bildirmişdi. Qəzetin verdiyi məlumata görə, Kaşıkçının böyük oğlu Salah onun Səudiyyə Ərəbistanında yaşamağa davam etmək niyyətində olan yeganə qohumu idi. Camal Kaşıkçıya nə olub? 2017-ci ildə könüllü olaraq ABŞ-a sürgünə gedən jurnalist 2018-ci oktyabrın 2-də il nişanlısı Hatice Cengiz ilə evlənmək üçün sənədlərini düzəltmək məqsədilə Səudiyyənin İstanbuldakı konsulluğuna gedib. Müstəntiqlər Kaşıkçının nişanlısının onu küçədə gözlədiyi zaman öldürüldüyünü hesab edirlər və parçalandığını düşünürlər, ancaq onun qalıqları hələ də tapılmayıb. Səudiyyə rəsmiləri əvvəlcə onun binanı diri tərk etdiyini iddia ediblər, lakin onun itkin düşməsindən sonrakı həftələrdə hadisələrin gedişatı ilə bağlı hesabatlar bir neçə dəfə dəyişib. Onun dəhşətli qətlinin təfərrüatları dünyanı sarsıdıb və BMT-nin sonrakı hesabatında vəliəhd şahzadə Məhəmməd bin Salmanın və digər yüksək səviyyəli Səudiyyə rəsmilərinin ayrılıqda məsuliyyət daşıdığına dair etibarlı sübutların olduğu bildirildi. Şahzadə qətldə hər hansı bir əlaqəni rədd edib, lakin \"xüsusən də qətlin Səudiyyə hökumətində çalışan şəxslər tərəfindən edildiyi üçün Səudiyyə Ərəbistanının lideri kimi tam məsuliyyət daşıdığını\" söyləyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48253547", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48245468", "doc1": "দুইটি তেলের জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন,ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি ওই হামলায় জাহাজগুলোর 'অনেক' ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, অনেক গুলো দেশের নাগরিক থাকা চারটি জাহাজ হামলার শিকার হয়। তবে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হামলার এই ঘটনা 'উদ্বেগজনক এবং ভীতিকর' এবং এর পূর্ণ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এখান দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও নৌ চলাচলের ওপর ইরানের হুমকির 'পরিষ্কার ইঙ্গিত' পাওয়ার কথা জানিয়ে কিছুদিন আগে ওই এলাকায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। আরো পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী কাতারে কেন নেমেছে চারটি মার্কিন বি-৫২ বিমান? ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র 'গুপ্ত হামলা' সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে ''আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে।'' সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সি মি. ফালিহকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে। ''দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।'' হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মি. ফালিহ বলছেন, ''সাগরে নৌচলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।'' তবে ফুজাইরাহ বন্দরে রবিবার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার। ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' ইন্দোনেশিয়ার যে গ্রামে মা ছাড়াই বড় হচ্ছে শিশুরা যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট", "doc2": "İddia edilən təxribat hücumu BƏƏ-nin əl-Füceyrə limanında baş verib. \"İnsident Hörmüz boğazında Əl-Füceyrə limanı yaxınlığında baş verib, gəmilərə ciddi zərər dəyib\", - Xalid əl-Fəlih qeyd edib. BƏƏ bildirib ki, dörd gəmi hədəf seçilib, lakin tələfat olmayıb. Böğazla sərhədi olan İran, insidenti \"narahatedici və dəhşətli\" adlandıraraq, hərtərəfli araşdırılmasına çağırıb. Payına dünya neft daşımalarının beşdə biri düşən bu bölgədə vəziyyətin gərgin olduğu qeyd edilir. ABŞ öz qüvvələrinə və dəniz daşımalarına yaranan İran təhlükəsinə görə bölgədə öz hərbi gəmilərini yerləşdirib. ABŞ bu addımı İranın əsas neft idxalçılarını İrana qarşı sanksiyaların təsirindən azad edən möhləti ləğv etdikdən sonra atıb. İnsident barədə nə məlumdur? Deyilənə görə, bazar günü Oman körfəzində BƏƏ ərazi sularında əl-Füceyrə əmirliyinin şərqində səhər saat 06:00-da (Bakı vaxtı) baş verən insidentin təfsilatları barədə məlumat yoxdur. BƏƏ XİN-i bazar günü axşam bildirib ki, naməlum dörd kommersiya gəmisi \"təxribat əməliyyatına\" məruz qalıb, lakin tələfat və kimyəvi maddələrin dənizə tökülməsi barədə məlumat olmayıb. Qeyd olunub ki, BƏƏ rəsmiləri bütün tələb olunan tədbirləri görüb və insident araşdırılır. Nazirlik əl-Füceyrə limanında yanğın və partlayış barədə xəbərləri \"əsassız\" adlandıraraq limanda vəziyyətin normal olduğunu bildirib. Bazar ertəsi səhər rəsmi Saudi Press agentliyi Xalid əl-Fəlihi iqtibas edərək bildirib ki, hədəf seçilən gəmilər arasında iki Səudiyyə gəmisi də olub. \"İki gəmidən biri Səudiyyə nefini Ras Tanura limanından Səudiyyənin Aramco şirkətinin ABŞ-dakı müştərilərinə çatdırmalı idi\",- Xalid əl-Fəlih əlavə edib. \"Xoşbəxtlikdən hücum tələfata və ya neftin axmasına gətirib çıxarmayıb; lakin iki gəminin konstruksiyasına ciddi zərər dəyib\", - o qeyd edib. İddia edilən zərərə dair heç bir görüntü dərc olunmayıb. Lakin Intertanko müstəqil tanker sahibləri və operatorları assosiasiyası \"azı iki gəmidə silah işlədilməsi nəticəsində əmələ gəlmiş dəliklərin şəklini\" görüb, Reuters bildirib. Kim təqsirləndirilir? Səudiyyə və BƏƏ heç bir qrupu və ya ölkəni ittiham etməyib. Lakin Xalid əl-Fəlihh deyib ki, baş vermiş hadisənin məqsədi \"dəniz naviqasiyasını pozmaq və dünya boyu müştərilərin neftlə təchizatının təhlükə altında olduğunu nümayiş etdirmək olub\". \"Beynəlxalq birlik dəniz naviqasiyasının və neft tankerlərinin təhlükəsizliyinin təmin edilməsilə bağlı və bu cür insidentlərin enerji bazarlarına mənfi təsirinin qarşısının alınması ilə bağlı məsuliyyət daşıyır\", - o əlavə edib. İranın yarırəsmi İsna xəbər agentliyi Xarici İşlər Nazirliyinin sözçüsü Abbas Müsəvidən iqtibas gətirib: \"Bu cür insidentlər dəniz daşımalarının təhlükəsizliyinə mənfi təsir göstərir\", o deyib. O, bölgə ölkələrini \"xarici agentlərin təxribatçı hərəkətlərinə qarşı ayıq-sayıq olmağa\" çağırıb. Bazar ertəsi səhər neftin satış qiyməti artıb: belə ki, Brent markalı neftin qiyməti 0,78% artaraq 1 barrel üçün $70.94 təşkil edib. West Texas Intermediate markası altında satılan ABŞ neftinin satış qiyməti 0,71% bahalaşaraq 1 barrel üçün $62.14 olub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46678914", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-51401429", "doc1": "নির্বাচনে কি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে? ভোট দিতে গিয়ে যদি দেখেন আগেই আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে তাহলে কী করবেন? ভোটের দিনের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার সানজানা চৌধুরী। ব্যাখ্যা: 'টেন্ডার ব্যালট' ভোট হিসেবে গণনা করা হয় না। তবে এটিকে ভোটের একটি আইনী নথি হিসেবে গণনা করা হয়। আরো পড়তে পারেন: ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এখন যা বলছেন অঞ্জনা সেনাবাহিনী নেমেছে, কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে কি?", "doc2": "BBC News Azərbaycanca jurnalistləri səsvermə məntəqələrindədir və gün boyunca video reportajlar təqdim edəcəklər. Jurnalistlərimizdən biri 8 saylı Binəqədi birinci seçki dairəsinin 9 saylı seçki məntəqəsində özünün \"yüzbaşı\" olduğunu bildirən adamla tanış olub - videonu burada izləyin: Jurnalistimiz Binəqədidəki məntəqədə \"Yüzbaşı\" ilə tanış olub Hazırda 125 nəfərlik deputat yeri uğrunda 1300-dən çox namizəd mübarizə aparır. Azərbaycanda parlamentə seçkilər majoritar qaydada keçirilsə də, bəzi müxalif partiyalar öz nümayəndələri ilə seçkiyə qatılıb. Hakim Yeni Azərbaycan Partiyası, demək olar ki, bütün dairələr üzrə öz namizədini irəli sürüb. AXCP və bəzi müxalif qüvvələrin birləşdiyi Milli Şura seçkini boykot edib. Parlament seçkilərində təşviqat müddəti cümə günü başa çatıb. Azərbaycanda 2020-ci ilin fevralın 9-na təyin edilmiş növbədənkənar parlament seçkilərində iştirak etmək üçün 2431 nəfər müraciət etmiş, amma 1600-dən çox şəxsin namizədliyi qeydə alınmışdı. Amma sonradan onlardan 320-yə yaxını namizədliyini geri götürüb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55569414", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-55556251", "doc1": "বিক্ষোভকারীদের দখলে ওয়াশিংটনে কংগ্রেস ভবন এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে \"লজ্জাজনক দৃশ্য\" বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে \"শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের\" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, \"ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।\" এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ বলেছেন, \"এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশে এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।\" এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের উপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে, আর সেটি হচ্ছে \"এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।\" কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, \"গণতন্ত্রের উপর এই আঘাতের ঘটনায়\" \"কানাডিয়ানরা প্রচন্ড বিরক্ত\"। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা \"গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের\" নিন্দা জানিয়েছেন। ক্যাপিটলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা \"আজ একটি কালো দিন ছিল\" বলেন পেন্স সহিংসতার পরও সেনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, \"যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।\" এর আগে ভাইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স। সেনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে \"ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।\" পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, \"যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।\" \"সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত।\" \"যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।\" মিচ ম্যাককনেল ক্যাপিটলে প্রবেশ করছেন। রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, \"আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।\" \"তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।\" তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। ডেমোক্রেটিক সেনেটর চাক শুমার বলেন, \"৬ই জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।\" সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি। \"এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।\" শুমার বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা \"অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী\" যারা \"আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।\" এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন। \"ট্রাম্প প্রশাসনের সেবা করার সুযোগ আমার জন্য সম্মানের ছিল এবং যে নীতি আমরা বাস্তবায়ন করেছি সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত,\" তিনি বলেন। \"কংগ্রেসের হলে যেহেতু আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাই আজ আমাকে যা দেখতে হয়েছে তার জন্য আমি খুব বিরক্ত।\" নিরাপত্তা রক্ষীদের হটিয়ে ক্যাপিটল দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। ম্যাথিউ জানিয়েছেন যে তার পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। সেই সাথে তিনি বলেন যে, \"আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দরকার।\" এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী ঘটেছিল? আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে। দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থক বিক্ষোভকারী জো বাইডেন ঘটনাকে একটি 'বিদ্রোহ' বলে আখ্যায়িত করেন, আর মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এই শোরগোলের মধ্যে মি. বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ - হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সেনেট-এর যৌথ অধিবেশন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ক্যাপিটল ভবন নিরাপদ হওয়ায় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা যৌথ অধিবেশন আবার শুরু করবেন এবং জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন। নারী গুলিবিদ্ধ হামলা চলাকালে ভবনের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার খবর পাওয়া গেছে এবং অন্তত একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বলছে, গুলিবিদ্ধ নারী মারা গেছেন। হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ এর সভাকক্ষের প্রবেশদ্বারে অস্ত্র তাক করার দৃশ্য দেখা গেছে। কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে। ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের ''আমরা ট্রাম্পকে ভালোবাসি' শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করতে দেখা গেছে। একজন ট্রাম্প সমর্থকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে সে সেনেট-এর সভাপতির আসনে বসে আছে। 'নজিরবিহীন আক্রমণ' মি. ট্রাম্প তার ভিডিওতে তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবী করেন জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে যদিও তিনি কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি। ''আমি তোমাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি তোমরা কষ্ট পেয়েছ,'' তিনি বলেন. ''তোমাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে, আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।'' জো বাইডেন বলেন এই বিক্ষোভ 'একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।'' ''এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে,'' মি. বাইডেন বলেন। দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ''আমেরিকা বাচাও'' নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।", "doc2": "Hadisəyə görə Konqresin Joe Biden-in ABŞ Prezidentliyi yarışındakı qələbəsinin elan olunacağı iclas dayandırılmalı olub. Bir çox dünya liderləri sülhə çağırış edib və hakimiyyətin nizamlı ötürülməsinə çağırış edib, baş verənləri \"dəhşətli\" və \"demokratiyaya hücum\" adlandırıblar. \"ABŞ dünyada demokratiyanın tərəfdarıdır və hakimiyyətin dinc və nizamlı bir şəkildə ötürülməsi çox vacibdir\", - Britaniya Baş naziri Boris Johnson Twitter-də yazıb. Böyük Britaniyanın digər siyasətçiləri də şiddəti tənqid etməkdə ona qatılıb. Müxalifət lideri Keir Starmer bunu \"demokratiyaya birbaşa hücum\" adlandırıb. Şotlandiyanın Birinci naziri Nicola Sturgeon Twitter-də Kapitolidəki hadisələrin \"tamamilə dəhşətli\" olduğunu bildirib. ABŞ-ın NATO müttəfiqi Türkiyə \"bütün tərəfləri təmkin və sağlam düşüncə\" göstərməyə dəvət etdiyini söyləyib. İspaniya Baş naziri Pedro Sanchez \"ABŞ demokratiyasının gücünə etibar edirəm. Joe Biden-in yeni prezidentliyi Amerika xalqını birləşdirərək bu gərgin mərhələni aşacaq\" deyib. Twitter-də yayımladığı videoda Fransa Prezidenti Emmanuel Macron deyib: \"Dünyanın ən qədim demokratik ölkələrindən birində, gedən bir prezidentin tərəfdarları bir seçkinin qanuni nəticələrinə meydan oxumaq üçün silah götürdükdə universal ideya olan \"bir nəfər, bir səs\" zəifləyir\". \"Bu gün Washington-da baş verənlər qətiliklə Amerika deyil. Biz demokratiyalarımızın gücünə inanırıq. Amerika demokratiyasının gücünə inanırıq\" - o əlavə edib. İsveç Baş Naziri Stefan Lofven hadisəni \"narahatedici\" olaraq xarakterizə edib və bunun \"demokratiyaya hücum\" olduğunu söyləyib. Almaniyanın xarici işlər naziri Heiko Maas deyib ki, \"cənab Trump və tərəfdarları amerikalı seçicilərin qərarını nəhayət qəbul etməli və demokratiyanı tapdalamağa son qoymalıdırlar\". Avropa İttifaqı liderləri də məsələyə reaksiya bildiriblər. Avropa Şurasının Prezidenti Charles Michel ABŞ-ın cənab Baydenə \"hakimiyyətin sülh yolu ilə ötürülməsini təmin edəcəyinə\" inandığını, Avropa Komissiyası Prezidenti Ursula von der Leyen isə \"seçimi qazanan\" Demokratla işləmək üçün səbirsizliklə gözlədiyini söyləyib. NATO hərbi ittifaqının Baş katibi Jens Stoltenberg seçkilərin nəticələrinə \"hörmət edilməli\" olduğunu deyib. BMT Baş katibi António Guterresin hadisələrə görə \"kədərləndiyini\" söyləyib. Hadisələr Amerikanın yaxın müttəfiqi və şimalındakı qonşusunu da şoka salıb. Baş nazir Justin Trudeau Kanadalıların \"demokratiyaya edilən hücumdan çox narahat olduqlarını və kədərləndiklərini\" söyləyib. \"Şiddət heç vaxt insanların iradəsini alt-üst etməkdə müvəffəq olmayacaq. ABŞ-da demokratiya dəstəklənməlidir - bu da olacaq\" deyə Twitter-də yazıb. Yeni Zelandiyadan Baş nazir Jacinda Ardern \"demokratiya - insanların bir səs istifadə etmə hüququ, səslərini eşitdirmək və sonra bu qərarı sülh yolu ilə dəstəkləmək hüququ bir dəstə tərəfindən əsla geri alınmamalıdır\" deyib. ABŞ-ın digər bir yaxın müttəfiqi Avstraliyanın Baş naziri Scott Morrison \"sıxıcı səhnələri\" qınayıb və hakimiyyətin dinc yolla ötürülməsini səbirsizliklə gözlədiyini bildirib. Dünyanın ən böyük demokratiyası olan Hindistanda Prezident Trump ilə yaxşı münasibətdə olan Baş nazir Narendra Modi da ABŞ paytaxtında\"iğtişaşlar və şiddət xəbərlərini görməkdən məyus olduğunu\" söyləyib. O, Twitter-də \"İqtidarın nizamlı və dinc yolla ötürülməsi davam etməlidir\" deyib. ABŞ-ın qanuni olaraq tanımadığı Venesuela hökuməti \"bu təəssüf doğuran epizodla ABŞ təcavüzkarlıq siyasəti ilə digər ölkələrdə yaratdığı ilə eyni əziyyəti çəkir\" deyib. Argentina prezidenti Alberto Fernández və Çili prezidenti Sebastián Piñera da Twitter-dəki açıqlamalarında Washington-dakı mənzərələri qınayıblar. Cənab Piñera Çilinin \"qanunun aliliyinə zəmanət vermək üçün ABŞ demokratiyasının möhkəmliyinə etibar etdiyini\" söyləyib. Amerikanın yaxın müttəfiqlərindən və ortaqlarından biri olan Yaponiyada Ali Nazirlər Kabineti Katibi Katsunobu Kato hökumətin ABŞ-da \"hakimiyyətin dinc yolla ötürülməsinə\" ümid etdiyini söyləyib. 2006-cı ildə Ficidə çevrilişə rəhbərlik edən Baş nazir Frank Bainimarama da baş verən hadisələrə hiddətini dilə gətirib. Sinqapurda Ali nazir Teo Chee Hean \"şokedici\" səhnələrin baş verdiyini izlədiyini söyləyərək onu \"kədərli bir gün\" adlandırıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47026944", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47023169", "doc1": "ম্যান্ডি মাহানি কিন্তু নতুন একটি জরিপ বলছে, আক্রান্তদের অনেকে এ ধরণের শব্দে গর্বিত বা আনন্দিত হওয়ার পরিবর্তে মনঃক্ষুণ্ণ হন। যুক্তরাজ্যের ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পেয়েছে, 'ক্যান্সার আক্রান্ত' বা 'শিকার' শব্দগুলোও তারা খুব অপছন্দ করেন। দাতব্য সংস্থাটি বলছে, এটি প্রমাণ করে যে, খুব সাধারণ শব্দও কতটা বিভেদ সৃষ্টিকারী হতে পারে। কেউ ক্যান্সার সনাক্ত হওয়ার পর সেটিকে যুদ্ধ বা লড়াই বলে বর্ণনা করা, তিনি মারা গেলে যুদ্ধে হেরে গেছেন বলা- অপছন্দনীয় বাক্যগুলোর অন্যতম। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের শব্দ সম্বলিত লেখা সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বলে ক্যান্সারের রোগীরা মনে করেন। ক্যান্সারে শনাক্ত হওয়া বা চিকিৎসাকে সহজ এবং বাস্তব শব্দে বর্ণনা করাকেই এই ব্যক্তিরা পছন্দ করেন বলে জরিপে বেরিয়ে এসেছে। আরো পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন উপায় 'ভার্চুয়াল টিউমার' কীভাবে বাঁধাকপি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে বাংলাদেশেও কেন মেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে? স্তন ক্যান্সারে ভোগা ৪৭ বছরের ম্যান্ডি মাহানি বলছেন, ''আমি মনে করে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এখনো যেসব শব্দ বলা হয়, তার বেশিরভাগই নেতিবাচক-সাহসী, লড়াকু, যোদ্ধা, টিকে যাওয়ার মতো শব্দ নতুন সনাক্ত হওয়া রোগীদের মনের ওপর অত্যন্ত চাপ তৈরি করে।'' কেউ মারা যাওয়ার পর লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার মতো শব্দেও তার আপত্তি রয়েছে। ''এর মানে যেন আপনি লড়াই করেননি বা হাল ছেড়ে দিয়েছেন।'' বরং তার পরিবর্তে তিনি সহজ শব্দ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। যেমন তার ক্ষেত্রে তিনি শুনতে পছন্দ করবেন যে, 'তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে বাস করছেন।' ''আমি কোন সাহসী ব্যক্তি নই বা কারো জন্য উদাহরণ নই। আমি শুধু যে কয়েকটা দিন বাকি আছে, সেটা ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে চাই।'' ক্রেইগ টোলে তবে ৩১ বছর বয়সী ক্রেইগ, ২০১৬ সালে যার থাইরয়েড ক্যান্সার সনাক্ত হয়েছে, তিনি বলছেন, যুদ্ধ, সংগ্রাম বা লড়াইয়ের মতো কোন কোন শব্দ তাকে অনুপ্রাণিত করে। ''ব্যক্তিগতভাবে এসব শব্দ আমাকে উৎসাহ যোগায়। তখন আমাকে ভাবতে সহায়তা করে যে, ক্যান্সার আমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, যেটির সঙ্গে আমাকে লড়তে হবে।'' ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের কর্মকর্তা কারেন রবার্টস বলছেন, ''এই জরিপের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ শব্দগুলোই কতটা বিভক্তি সৃষ্টিকারী হতে পারে। ''এ বিষয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে আমরা এই মানুষের কাছে এই বার্তাটি দিতে চাইছি যেন, তারা যেন আলাপের সময় এমন শব্দ বাছাই করেন, যা তারা শুনতে পছন্দ করেন এবং তাদের জন্য কোনরকম ক্ষতিকর না হয়। ম্যান্ডি বলছেন, ''এর মানে এই নয় যে, কাউকে একটা পাঠ্যবই মুখস্থ করে আসতে হবে আর সেগুলোই বলতে হবে। আমি বলবো, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো।'' ''তবে কথা বলতে হলে যা সত্যি, সেভাবেই বললে ভালো।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নেপালের রিপোর্টে দায়ী ইউএস বাংলার পাইলট সোশাল মিডিয়াকে কেন যুক্তরাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা বেওয়ারিশ লাশের কেন পরিচয় মেলে না", "doc2": "Xərçəng xəstəliyi olan Mandy Mahoney deyir ki, o, \"nə cəsurdur\", nə də ki, \"ilhamverici\" Yeni tədqiqata əsasən, xərçəng xəstələrindən bəziləri belə sözləri ruhlandırıcı yox, yersiz sayır. Britaniyada xərçəng xəstələrinə dəstək verən Macmillan xeyriyyə təşkilatı 2000 xərçəng xəstəsi arasında sorğu keçirərək aşkar edib ki, \"xərçəngə tutulmuş\" və \"qurban\" kimi sözlər də xərçəng xəstələrinin xoşlamadıqları ifadələr arasında yer alıb. Xeyriyyə təşkilatı qeyd edib ki, sorğunun nəticələri xərçəngin sadə təsvirlərinin necə \"bölücü\" ola bilməsini göstərir. YouGov sosial araşdırmalar mərkəzi tərəfindən aparılmış digər sorğunun nəticələrinə görə, xərçəng xəstəsinin diaqnozunu \"savaş\" və ya \"döyüş\" adlandırmaq, xəstə öləndə isə onun ünvanına \"döyüşü uduzdu\", \"savaşı uduzdu\" kimi ifadələr işlətmək də xərçəng xəstələri arasında yaxşı qarşılanmır. Xüsusilə, sosial mediada belə söz və kəlmələrin işlədilməsi daha çox ağrıverici sayılıb. Sorğunun nəticələrinə əsasən, xərçəng xəstələri diaqnozun necə varsa elə təsvir edilməsini, diaqnoz qoyulanda və ya xəstə öləndə dəqiq söz və kəlmələrdən istifadə olunmasını daha məqbul sayırlar. \"Mən ilhamverici deyiləm\" 47 yaşlı Mandy Mahoney-nin müalicə olunmayan metastatik döş vəzi xərçəngi var. London sakini olan sosial dəstək xidməti işçisinə ilk dəfə döş xərçəngi diaqnozu 2011-ci ildə qoyulmuşdu və o zaqmanadan bəri bu xəstəlik beş dəfə qayıdıb. \"Mən düşünürəm ki, xərçəng mövzusunda söhbətlərin təsiri mənfi ola bilər - cəsur, döyüşçü, cəngavər kimi sözlər diaqnozu yenicə qoyulmuş xəstələrə olduqca böyük stress yarada bilər\". Mandy \"xərçəngə qarşı döyüşü uduzmaq\" kəlməsinə də etiraz edib. \"Bunu belə də başa düşmək olar ki, sanki siz mübarizə aparmamısınız və ya təslim olmusunuz\", - o qeyd edib. O, \"aydın, faktlara əsaslanan dili\" üstün tutur və özünü, sadəcə, \"müalicə olunmayan xərçəngi olan\" birisi kimi təsvir edir. \"Mən cəsur və ya ilhamverici deyiləm. Mən sadəcə həyatımı yaşayıram\", - o bildirib. Craig Toley hesab edir ki, \"döyüşçü\" sözü, şəxsən ona müsbət təsir göstərir. Lakin 2016-cı ildə tiroid xərçəngi diaqnozu qoyulmuş Craig Toley hesab edir ki, bəzi sözlərin pozitiv təsiri ola bilər. Onun xəstəliyinin simptompları hazırda bir qədər azalıb. 31 yaşlı Craig Toley deyir ki, şəxsən ona bu cür sözlər sanki əlavə güc verib. \"Mübariz adamlar barədə dastanları hamı xoşlayır.\" \"Bölücü sözlər\" \"Xərçəng xəstəsi düşdüyü vəziyyətə uyğun söz tapmağa çalışarkən, dostları və ailələsinin \"yersiz\" söz işlətmələri xəstənin acı hisslərini daha da gücləndirmiş olur, - Macmillan xərçəng xəstələrinə dəstək təşkilatının əməkdaşı Karen Roberts deyir. - Bu məsələyə diqqəti çəkməklə biz insanları, onların eşitmək istədiyi sözləri səsləndirməyə dəvət edirik, onların əhval-ruhiyyəsinə və münasibətlərinə vurula biləcək zərərin qarşısını almaq istəyirik\". Mandy deyir ki, xərçəng barədə danışmaq üçün \"dərslik oxumağa lüzum yoxdur, nəyisə bilməmək təbiidir\". \"Əgər siz nə demək lazım olduğunu bilmirsiniz, mən bu məsələdə sizə kömək edə bilərəm və hətta, yeri gələndə, \"bu barədə danışmamalıyıq\" kəlməsini də işlədə bilərəm\", - o deyir. \"Sadəcə, real olun\", - Mandy vurğulayır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40670859", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40661734", "doc1": "আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির টিয়াপাখি ২০১৫ সালে গ্লেনা ডুরাম তাদের পোষা টিয়া পাখির সামনেই গুলি করে স্বামী মার্টিনকে মেরে ফেলেন - তারপর বন্দুকের নল নিজের দিকে ঘুরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে ওই টিয়া পাখিটি মার্টিনের গলা নকল করে বলতে থাকে 'ডোন্ট শ্যুট', জানিয়েছেন মার্টিনের সাবেক স্ত্রী। আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানির শেষে জুরি ৪৯ বছর বয়সী মিসেস ডুরামকে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী মাসে তার সাজা ঘোষণা করা হবে। ২০১৫ সালের মে মাসে ডুরাম দম্পতির স্যান্ড লেকের বাড়িতে ওই হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গ্লেনা ডুরাম নিজে ওই ঘটনায় মাথায় আঘাত পেলেও বেঁচে যান। এই হত্যা মামলার শুনানিতে যখন সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করা হচ্ছিল, তখন অভিযুক্ত গ্লেনা ডুরাম যে রকম 'অনুতাপহীন' অবস্থায় বসেছিলেন, তা তাকে ব্যথিত করেছে বলে জানিয়েছেন নিহত মার্টিন ডুরামের মা লিলিয়ান। স্বামী মার্টিনকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গ্লেনা ডুরাম ডুরাম দম্পতির পোষা টিয়া পাখিটি এখন রয়েছে মার্টিনের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিয়ানা কেলারের কাছে। এই টিয়াটি ছিল আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির। তিনি এর আগে জানান, টিয়াটি এমন কিছু কথাবার্তা বলছিল - যা থেকে মনে হচ্ছিল সে যেন ওই হত্যার রাতের কথাবার্তাই পুনরাবৃত্তি করছে। আর সেটা শেষ হচ্ছিল 'ডোন্ট শ্যুট' দিয়ে। মি. ডুরামের বাবা-মাও মনে করছেন, এটা খুবই সম্ভব যে বাচাল টিয়া পাখিটি হত্যার রাতে ডুরাম দম্পতির ঝগড়া শুনেছিল আর তারপর সে তাদের বলা কথাবার্তাই বলছে। তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিয়া পাখিটি যা শুনত সেটা অক্ষরে অক্ষরে মনে রাখতে পারত। হতে পারে সে রাতে টিয়াটি দু'জনের সব কথাবার্তাই শুনেছিল। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একজন কৌঁসুলি প্রথমে এই টিয়ার আওয়াজকে আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য সে ভাবনা আর কার্যকর করা হযনি। আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন : ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত, প্রশাসনে তোলপাড় ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি সম্বন্ধে দশটি অজানা তথ্য বাদশাহর আদেশে গ্রেফতার হলেন এক সৌদি প্রিন্স লন্ডনে গিয়েও সংলাপে গেলোনা কেন আওয়ামী লীগ?", "doc2": "Glenna Duram həyat yoldaşı Martini güllələməkdə təqsili bilinib Evdə saxlanılan tutuquşu, güman edildiyinə görə, hadisənin şahidi olub. Glenna Duram, həyat yoldaşı Martini, 2015-ci ildə evdə saxlanılan tutuquşu qarşısında güllələyib. Bundan sonra qadın odlu silahla özünü də öldürməyə cəhd göstərib, lakin onun bu cəhdi alınmayıb. Tutuquşu, hadisədən bir müddət keçmiş, \"Vurma!\" sözünü səsləndirib. Qadın deyib ki, tutuquşu həmin sözü onun mərhum ərinin səsinə bənzər səslə səsləndirib. Bu tutuquşuya bənzər olan Bud adlı quş eşitdiyi sözləri təkrarlamağı xoşlayır Bud adlı Afrika tutuquşusu məhkəmə prosesinə cəlb olunmamışdı. Hakimlər heyəti bir gün çəkən müzakirələrdən sonra 49 yaşlı xanım Duram-ı qətl törətməkdə təqsirkar bilib. Ona qarşı məhkəmənin cəza qərarı gələn ay çıxarılacaq. 2015-ci ilin may ayında Sand Lake şəhərində ər-arvadın evində baş vermiş insidentdə Glenna Duram başından yara alıb, lakin sağ qalıb. Cənab Duram-ın anası Lillian deyib ki, məhkəmədə oğlunun ölümü ilə bağlı dəlilin təqdim edilməsi zamanı xanım Duramın bunu \"emosiyasız qarşılamasına\" tamaşa etmək \"ağrıverici\" olub. Bud-un hazırkı sahibi, cənab Duram-ın keçmiş həyat yoldaşı Christine Keller hesab edir ki, tutuquşu qətl gecəsindəki eşitdiyi sözü təkrarlayıb: \"Vurma!\" \"Mən düşünürəm ki, quş hadisənin şahidi olub, hadisə zamanı deyilmiş sözü yadda saxlayıb və indi onu səsləndirir\", - mərhumun atası deyib. Michigan prokuroru əvvəlcə tutuquşunun dediklərindən prosesdə dəlil kimi istifadə etmək istəyib, lakin sonradan fikrini dəyişib. Prokuror əlavə edib ki, ehtimal ki, proses zamanı tutuquşu şahid qismində məhkəməyə dəvət olunmayacaqdı."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47366569", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48338110", "doc1": "পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিস্টার জারিফ। ওই পোস্টে দায়িত্ব পালনকালে নিজের \"ভুল-ত্রুটির\" জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। ইরান এবং আন্তর্জাতিক ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিস্টার জারিফ। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সম্পৃক্ততা সরিয়ে নিয়ে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মিস্টার জারিফের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে । ৫৯বছর বয়সী মিস্টার জারিফ যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেনভার থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন। জাতিসংঘে ইরানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি । ইরানকে আরও উদার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাসান রুহানি নির্বাচিত হলে ২০১৩ সালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান মিস্টার জারিফ। পদত্যাগের পেছনে কারণ কী? বিষয়টি এখনো ততটা পরিষ্কার নয়। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের পোস্টে তিনি ইরানের সাধারণ মানুষের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিন্তু তার পর সবে যাবার কারণ হিসেবে কিছু লেখেননি। তিনি লিখেছেন, \"পদে থেকে দায়িত্ব পালন চালিয়ে যেতে না পারার জন্য এবং সকল ব্যর্থতা ও ভুল-ত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা-প্রার্থী\"। অন্যান্য বড় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মত ইরানে ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ নয়। প্রেসিডেন্ট রুহানি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি-না সেটি অবশ্য খোলাসা হয়নি এখনো। যদিও পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে- এমন খবর টুইট করে নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট-এর চীফ অব স্টাফ । আরও পড়ুন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? শাহ ও আয়াতোল্লাহ: ইরান বিপ্লবের ৪০ বছরে ফিরে তাকানো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে মিস্টার জারিফ দেশের ভেতরে হার্ড-লাইনারদের দ্বারা চাপের মুখে ছিলেন। এদিকে সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনির সাথে তেহরানে সাক্ষাত করেছেন, তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন সেখানে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার জারিফ ছিলেন না। সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটির সরকারের প্রধান সমর্থনকারী দেশের একটি ইরান। তেহরান সফরকে ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ছাড়া মিস্টার আসাদের প্রথম বিদেশ সফর মনে করা হচ্ছে। এটা কি নতুন কৌশল? জাভেদ জারিফের হঠাৎ পদত্যাগের ঘটনায় জল্পনা-কল্পনার ডালপালা ছড়িয়েছে। যে সময়টাতে ইরানকে নানারকম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তেমন সময় এই পদত্যাগ প্রেসিডেন্ট রুহানি মেনে নেবেন কি-না সেটি পরিষ্কার নয়। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য নির্ভর করছে সবোর্চ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনির ওপর । পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে একজন প্রধান ক্রীড়নক হিসেবে মধ্যস্থতা করলেও মিস্টার জারিফের সেই ভূমিকাকে কট্টরপন্থীরা কখনোই পছন্দ কিংবা বিশ্বাস করতে পারেনি। কিন্তু মিস্টার জারিফের পদত্যাগের বিষয়টি কি একধরনের কৌশল? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত নভেম্বরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। অথবা মার্কিন-মুল্লুকে উচ্চশিক্ষিত কূটনীতিকের বিদায় যিনি হয়ে উঠেছিলেন বাকি বিশ্বের সাথে ইরানের নতুন যোগাযোগের হাস্যোজ্জ্বল প্রতিনিধি। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্র দেশগুলোর সমন্বিত প্রচারের মুখে সামনের দিনগুলোতে তেহরানের পররাষ্ট্রনীতি কঠোর রূপ নিতে শুরু করবে, যেমনটা গত সপ্তাহে মিউনিখে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বর্ণনা করেছেন মিস্টার জারিফ নিজে। পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত ছিল ইরান তার কর্মসূচি কমিয়ে আনবে বিনিময়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে \"ভয়াবহ\" আখ্যা দেন এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির হেরফের করতে এটা খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। গতবছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার রে নেয়ার ঘোষণা দেন। অন্যান্য অংশীদাররা এই চুক্তিতে থাকার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন এবং মিস্টার জারিফ চুক্তিটি অক্ষত রাখার বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দেশটির পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বলে ইরান বরাবর দাবি করে আসছে। মিস্টার জারিফের ঘোষণার প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটারে লিখেছেন ইরানের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি \"অপরিবর্তিত\" থাকবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এই খবর তিনি ঘোষণা করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। দায়িত্ব পালনকালে নিজের \"ভুল-ত্রুটির\" জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: পাকিস্তানের সীমানায় ভারতের বোমা বর্ষণ বিমানে যা ঘটলো তার কী মূল্য দেবে বাংলাদেশ? গোল্ডেন রাইস: ভালো না খারাপ? ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার আবাসিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তায় যা ভুলবেন না", "doc2": "Prezident Həsən Ruhaninin Iranı və prezident Donald Trump ABŞ-ı arasında gərginlik artıb. O Twitter səhifəsində bildirib ki, \"bu cür soyqırım ruhlu ifadələr İranı bitirməyəcək\". ABŞ prezidenti Donald Trump İrana sərt xəbərdarlıq edərək bildirib ki, \"iki ölkə arasında münaqişə baş versə, İran məhv olacaq\". \"İran vuruşmaq istəsə, bu, İranın rəsmi sonu olacaq, - Trump bazar günü Twitter səhifəsində bildirib. - Birləşmiş Ştatları bir daha hədələməyin\". ABŞ son günlərdə İran körfəzində əlavə hərbi gəmi və təyyarələr yerləşdirib. Donald Trump-ın sonuncu tviti hərbi münaqişənin ehtimalını azaltmaq istiqamətində bu yaxınlarda göstərdiyi səylərdən sonra onun tonunda dəyişikliyin baş verdiyini göstərir. Fox News yayım şirkətinə bazar günü verdiyi müsahibəsində ABŞ prezidenti vurğulayıb ki, İrana nüvə silahı əldə etməyə imkan verməyəcək. Amma o, eyni zamanda qeyd edib ki, münaqişənin baş verməsini istəmir. \"Mən müharibəni istəyən adam deyiləm, çünki müharibə iqtisadiyyatları dağıdır, əsası isə odur ki, insanları öldürür', - o deyib. İran gərginliyin artacağına dair narahatlıqları sakitləşdirməyə çalışıb. Şənbə günü İranın Xarici İşlər naziri heç kimin müharibə həvəsində olmadığını qeyd edib. \"Müharibə olmayacaq, çünki nə biz müharibə istəyirik, nə də ki, kiminsə regionda İranla qarşıdurmaya girə biləcək kimi illüziyası var\", - Məhəmməd Cavad Zərif IRNA xəbər agentliyinə bildirib. Bazar günü o Trump-ın tvitinə cavab olaraq qeyd edib ki, ABŞ prezidenti \"[Makedoniyalı] İsgəndərin, Çingiz [xanın] və digər təcavüzkarların edə bilmədiyini edəcəyinə ümid edir\". \"İranlıların tarixi minilliklərdir ki, davam etməkdədir, təcavüzkarların isə hamısı yox olub. #İqtisadiTerrorçuluq və soyqırım ruhlu ifadələr \"İranı bitirməyəcək\", #İranlınıHədələmə. Hörmət etməyə çalış - bu, nəticə verir!\" - Zərif öz Twitter səhifəsində yazıb. Təhlil Jonathan Marcus, hərbi məsələlər üzrə müxbir Prezident Trump İranla münasibətlərdə gərginliyi sanki azaltmaq cəhdlərindən sonra, göründüyü kimi, indi ABŞ maraqları və ya obyektlərinə qarşı istənilən hücuma görə fəlakətli əks-zərbə vəd edir. Bu, ABŞ-ın qlobal problemlərə yanaşmasının dəyişgənli olduğunu göstərir - təmkinlik bir anda çılğınlıqla əvəzlənə bilər. Bu cür dəyişəgənlik ABŞ-ın niyyətlərinin Tehran tərəfindən düzgün başa düşülməsini əngəlləyə bilər. Bu arada isə qarşıdırmanın başlaması üçün bütün tərkib hissələr artıq mövcuddur: ABŞ-ın yanaşmasında aydınlığın çatışmazlığı; İranın potensial olaraq hazırki durumu sonadək aydınlaşdırmaq istəyi; bölgədə baş vermiş insidentlər silsiləsi (bir neçə neft tankerinə qarşı təxribar və Bağdadda ABŞ səfirliyi yaxınlığında raket hücumu) göstərir ki, bölgədə mövcud olan bəzi elementlər hazırki gərginliyi alovlandırmaqda və ABŞ administrasiyasının qətiyyətini yoxlamağa maraqlıdır. Gərginliyə səbəb nədir? İki ölkə arasında gərginlik ötən ildən, prezident Trump 2015-ci ildə İranın nüvə proqramına dair bağlanmış beynəlxalq müqavilədən ABŞ-ın çıxdığını elan edəndən sonra artmağa başlayıb. Həmin müqavilənin məqsədi İranın nüvə proqramının dayandırılması müqabilində ona qarşı sanksiyaları ləğv etmək olub. Trump həmin sövdələşməni \"qüsurlu\" adlandıraraq İrana qarşı ABŞ sanksiyalarını bərpa edib. ABŞ-ın addımına cavab olaraq, İran bu ayın əvvəlində qeyd olunan müqavilə çərçivəsində öz öhdəliklərini dayandıraraq uranın zənginləşdirilməsini bərpa edəcəyi barədə xəbərdarlıq edib. Tehran iddia edildiyinə görə, İran körfəzindəki qayıqlara raket yerləşdirib. ABŞ müstəntiqləri güman edirlər ki, BƏƏ sahilyanı sularında dörd tankeri zədələyən İran olub, xəbərlərdə deyilir. İran bu ittihamları rədd edir. İran körfəzində son durum İraq hərbiyyəsinin bildirdiyinə görə, bazar günü Bağdadın ciddi qorunan Yaşı Zonasına raket atəşi açılıb. Həmin zonada hökümət binaları və xarici səfirliklər yerləşir. Xəbərlərə görə, raket ABŞ səfirliyi yaxınlığında yerləşən atılmış binaya dəyib - tələfat olmayıb. Bu hücumun arxasında kimin durduğu məlum deyil. Lakin ABŞ Dövlət Departamenti bildirib ki, \"əgər bu hücum İranın dəstəklədiyi silahlı qüvvələr tərəfindən edilibsə, məsuliyyət daşıyan İran sayılacaq\". Trump-ın tviti raket hücumu haqqında ilk xəbərlərdən bir neçə saat sonraya təsadüf edib. Son günlər ərzində ABŞ bölgədə USS Abraham Lincoln təyyarədaşıyıcı gəmisini yerləşdirib və Yaxın Şərqə 120 minlik qoşun göndərmək planını nəzərdən keçirir. ABŞ diplomatik personalına İraqı tərk etmək göstərişi verilib, ABŞ hərbiyyəsi regiona dair təhlükə səviyyəsini artırıb, lakin bu, \"təhlükənin artmadığnı\" bildirən britaniyalı generalın dedikləriylə ziddiyyət təşkil edir. Səudiyyə Ərəbistanı Tehranı cümə günü neft kəmərlərinə dron hücumu təşkil etməkdə ittihamlayıb. Səudiyyə iddia edib ki, hücumu İranın göstərişi ilə Yəməndə husi üsyançıları edib. Səudiyyədə hökümətyönlü qəzet ABŞ-ı ölkəyə qarşı hücuma keçməyə çağırıb. İran bu ittihamları rədd edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44591828", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44150383", "doc1": "ড্রাইভিং প্রশিক্ষক আহলাম আল-সোমালির সাথে ছাত্রী মারিয়া আল-ফারাজ দশকের পর দশক ধরে সেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ঘোষণা আসে প্রথমবারের মত গত বছরের সেপ্টেম্বরে। আর এই মাসের শুরুর দিকে মেয়েদের প্রথম লাইসেন্স দেয়া হয়। সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। গাড়ি চালানোর জন্য গাড়ির মালিকদের ব্যক্তিগত চালক রাখতে হত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা একদিনে বাতিল হয়নি। দেশটিতে অ্যাকটিভিস্টদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে,তাদেরকে আবার ধর-পাকড় করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে অন্তত আটজন নারী অ্যাকটিভিস্টকে আটক করা হয়েছে যারা কাউন্টার টেররিজম কোর্টে বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদী জেল খাটার সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে অ্যামনেস্টি মনে করছে, দেশটিতে মেয়েদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আরো সংস্কার কাজ করা উচিত। আরো পড়ুন:সৌদিতে যেভাবে গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েরা বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না ১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর জন্য কয়েক ডজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৮ থেকে ২০১১ এবং ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অনেক নারীকেই দেখা গেছে তারা গাড়ি চালাচ্ছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এদিকে আনুষ্ঠানিক এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শীগগিরই হাজার হাজার নারীকে রাস্তায় দেখা যাবে গাড়ি চালাতে। সৌদি আরবের টেলিভিশনের একজন প্রেজেন্টার সাবিকা আল দোসারি এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন \"প্রত্যেকটা সৌদি নারীর জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক সময়\"। তিনি বলেছেন যখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তখন স্থানীয় সময় রাত নয়টায় তিনি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেন। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন শেষ মূহুর্তের অবিশ্বাস্য গোলে জয় জার্মানির কাশ্মীরের হিন্দু মুসলমানদের এক করছে যে শিল্প প্রদর্শনী", "doc2": "Səudiyyə Ərəbistanında qadınların maşın sürə bilməsi üçün kampaniyalar təşkil edən Manal Al Sharif Qadağanın aradan götürülməsindən məmnun olmayan bəzi kişilər sosial şəbəkələrdə \"maşın sürə bilməzsən\" həştəqli paylaşımlar edib. Qadınlar isə bu sözlərə qarşı eyni həştəqdən istifadə edərək daha zarafatcıl paylaşımlar ediblər. Bazar ertəsindən bəri eyni həştəqlə qadınların maşın sürmək hüququnu dəstəkləyən 65 mindən çox post paylaşılıb. Qadınlar eyni həştəqlə video və fotolar da paylaşıb. \"Siz baxarkən biz maşın sürəcəyik\" Bəzi qadınlar eyni həştəqi istifadə edərək xəyallarındakı avtomobillərin fotolarını paylaşıb. \"Mənim avtomobilim. İyun, 2018\" Bəzi qadınlar isə sürücülük kursu kitablarının şəkillərini bölüşüblər. \"Avtomobil sürəyəcəm\". Bir tvitdə qeyd olunub: \"Özlərinə qadınlara aid məsələlərə qarışmaq hüququnu tanıyan kişilər məzlumdurlar\". Səudiyyə Ərəbistanı qadınların sürücülük etməsi qadağan olan yeganə ölkə idi. Səudiyyəli qadınlar bu qaydaya illərdir etiraz edirdilər. Qaydalara riayət etməkdən imtina edən bəzi qadınlar avtomobi idarə etdikləri üçün həbs cəzasına məhkum edilmişdilər. Ölkədə keçən ilin sonundan etibarən Şahzadə Məhəmməd bin Salman tərəfindən sosial dəyişiklik dalğası həyata keçirilir. Ötən ay ölkədə 35 ildən sonra ilk kinoteatr açılıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48331750", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39990171", "doc1": "ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রোববার এক টুইট বার্তায় মি: ট্রাম্প বলেন, \"ইরান যদি যুদ্ধ চায়, তাহলে সেটি হবে ইরানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি।\" তিনি ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা যেন আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি না দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে যুদ্ধ চায়না। কিন্তু এখন মি: ট্রাম্পের বক্তব্যে সেখান থেকে সরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ হবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফও বলেন, যুদ্ধের কোন সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় হবে জরুরী বৈঠক ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস আব্রাহাম। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান ৩০শে মে মক্কায় এক জরুরী বৈঠকে বসার জন্য আরব লীগ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি সদস্যদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, \"সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমুদ্র সীমায় (সৌদি) বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা এবং সৌদি আরবের মধ্যে দুটো তেল ক্ষেত্রে হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার\" পরিপ্রেক্ষিতে এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এখনও ইরানের সাথে করা চুক্তি বজায় রেখেছে। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশ্লেষক জনাথন মার্কাস বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন চান ইরানের সাথে করা এই পরমাণু চুক্তি পুরোপুরি ভেস্তে যাক। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তার ফলে ইরানের অর্থনীতি দিনে দিনে সঙ্কটে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য যেন ইরান তাদের তেল অন্য দেশের কাছে বিক্রি করতে না পারে। এছাড়া গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সবচেয়ে সুসজ্জিত বাহিনী রেভলিউশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা কাতারে কেন নেমেছে চারটি মার্কিন বি-৫২ বিমান?", "doc2": "Prezident Trump və onun yoldaşı Melania-nın İsrailə səfərinin tarixi bir an olacağı düşünülür \"İrana heç vaxt nüvə silahına sahib olmağa imkan verilməməlidir\", cənab Trump Yerusəlimdə İsrail prezidenti Reuven Rivlin-lə birgə çıxışı zamanı jurnalistlərə deyib. Cənab Trump ABŞ-ın regionda əsas müttəfiqlərindən biri olan Səudiyyə Ərəbistanda keçirilən zirvə görüşündə bir çox İslam ölkələrinin liderləri ilə çıxış etdikdən sonra İsrailə təyyarə ilə uçub. Prezident Trump iki günlük səfəri zamanı İsrail və Fələstin liderlərilə danışıqlar keçirmək niyyətindədir. O, İsrail və Fələstin arasında potensial sülh müqaviləsini \"ən əhəmiyyətli müqavilə\" adlandırıb, lakin bu razılığın nə formada olacağını dəqiqləşdirməyib. Cənab Trump razılığın iki tərəf arasında keçirilən danışıqlar nəticəsində əmələ gəlməsinə üstünlük verdiyini deyib. Trump İran barədə başqa nə deyib? Prezident Trump İsrail Prezidenti Reuben Rivlin-in rəsmi iqamətgahında danışarkən bildirib ki, İran \"terrorçuların və silahlı qruplaşmaların ölümcül maliyyələşdirilməsinə, təlimlərinə və silahlandırmalarına son qoymalıdır\". Tehran isə nüvə silahlarına sahib olmaq istmədiyini israr edir. Lakin İsrail və ABŞ İranın nüvə silahlarına dair təkziblərinə inanmır. İranla bağlı qorxu və inamsızlıq İsraildə geniş yayılıb. Cənab Trump və onun həyat yoldaşı Melania-nı kral Salman bin Əbdüləziz salamlayıb Trump-ın Səudiyyə Ərəbistanı nitqi Bazar günü Səudiyyə Ərəbistanın paytaxtı Riyadda verdiyi çıxışında prezident Trump ərəb və müsəlman liderlərə islamçı döyüşçü qruplaşmalara qarşı mübarizə aparmağa və \"onları bu dünyadan rədd etməyə\" çağırıb. Nitqində o, müttəfiqləri İsrail və Səudiyyə Ərəbistanın rəqibi İranı onilliklər boyu regionda \"təriqətçiliyin alovlarını və terroru\" alovlandırmaqda təqsirləndirib. İranın xarici işlər naziri Məhəmməd Cavad Zarif Twitter-də verdiyi reaksiyada ABŞ-ı, Səudiyyə Ərəbistanla bağladığı milyardlarla dollar dəyərində silah satışı müqaviləsilə müttəfiqindən pul sağdığını iddia edib. Cənab Trump nitqində İsrail və Fələstin arasında sülhə hələ də inamı olduğunu təkrarlayıb. Bu tədbirdə Azərbaycan prezidenti İlham Əliyev də iştirak edib, prezidentin saytı yazıb. Şənbə günü ABŞ Səudiyyə Ərəbistanı ilə 350 milyard dollarlıq ticarət sazişi imzalayıb. Bura ABŞ tarixində ən uzun hərbi əməkdaşlıq da aiddir. Dövlət Katibi Rex Tillerson vaxtilə bu saziş barədə bildirib ki, o, Səudiyyə Ərəbistanının regional rəqibi olan İranın \"düşmən\" təsirinin qarşısının alınması məqsədi daşıyır. ABŞ prezidentinin İsraili sələfi Barack Obama-dan daha çox dəstəklədiyi düşünülür. O, İsrailin qalmaqallı məskunlaşma siyasətinə daha yumşaq münasibət nümayiş etdirib. Yəhudi məskənləri 1967-ci ildə Qərb Sahili və Şərqi Yerusəlimin (Qüdsün) İsrail tərəfindən işğalından sonra salınmağa başlayıb. Hazırda 140-dan çox yaşayış məntəqəsində təxminən 600 min israilli yaşayır. Beynəlxalq qanunlara görə bu yaşayış məntəqələri qanunsuzdur, lakin İsrail bu fikirlə razı deyil. İsrail bütün Yerusəlimi öz paytaxtı sayır. Fələstin isə şəhərin qərbini öz paytaxtı sayır. Beynəlxalq cəmiyyət İsrailin Yerusəlim üzrə suverenliyi tanımır və ölkələr hələ də səfirliklərini Təl Əviv şəhərində yerləşdirirlər. Ən əhəmiyyətli müqavilə - BBC-nin Orta Şərq müxbiri Jeremy Bowen, Yerusəlim Prezident Trump razılıq əldə etməyə gəldikdə özünü dünyanın ən qabiliyyətli insanı sayır və fələsintilərlə israillilər arasında yüz ildən artıq davam edən münaqişəni həll etmək dünyanın ən mühüm razılığı ola bilər. ABŞ prezident seçkiləri kampaniyası ərəfəsində cənab Trump-ın bəyan etdiyi mövqelər demək olar ki, Binyamin Netanyahunun sağçı İsrail hökumətinin mövqeləri ilə üst-üstə düşürdü. O, həm işğal olunmuş torpaqlarda yəhudi məskənlərinin genişlənməsini dəstəkləyib və Fələstinin azadlıq arzularına sərt mövqe nümayiş edib. Lakin prezident olduqdan sonra cənab Trump bu məsələyə daha incəliklə yanaşıb. Bu isə İsrailin sağçı siyasi qüvvələri arasında Donald Trump-ın İsraildən güzəştlər tələb edəcəyi barədə spekulyasiyalara səbəb olub. 20 ildən artıq nəticəsiz sülh danışıqları İsrail və Fələstin arasında bir razılığın əldə ediməsinin nə dərəcədə çətin olduğunu göstərir. Donald Trump İsraildə nə deyirsə desin və nə edirsə etsin, hər iki tərəfdə insanların əksəriyyəti danışıqlarda irəliləyişə böyük inam bəsləmir. Cənab Trump-ın İsrailə səfərindən əvvəl ABŞ rəsmiləri və İsrail arasında mübahisəli hadisələr baş verib. İsrailin baş naziri Binyamin Netanyahu ABŞ dövlət katibi Rex Tillerson-un ABŞ səfirliyinin Yerusəlimə köçürülməsinin sülh prosesinə ziyan vuracağı iddiasını rədd edib. ABŞ səfirliyi nümayəndələrindən biri isə Yerusəlimin ən müqəddəs yəhudi yerlərindən biri olan Qərb Divarının \"sizin [İsrailin] ərazinizdə yox, Qərb Sahilinin bir hissəsi\" olduğu deməsi İsrailin qəzəbinə səbəb olub. Ağ Ev daha sonra bu mövqeyin ABŞ-ın rəsmi mövqeyini əks etdirməyini bəyan edib. Cənab Trump-ın qeyri-rəsmi şəkildə qədim Şərqi Yerusəlim şəhərində yerləşən Qərb Divarına ziyarət etməsi gözlənilir. O, bu addımı atan ilk vəzifəli ABŞ prezidenti olacaq. Onun həmçinin yaxınlıqda yerləşən və xristianların inamına əsasən müqəddəs İsanın basdırıldığı və bir daha dirildiyi türbənin üzərində tikilən Müqəddəs Məzar Kilsəsinə də ziyarət etməsi gözlənilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51988914", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51988793", "doc1": "কোভিড-১৯ এ আকান্ত হয়ে কম সংখ্যক তরুণকে আইসিইউতে নিতে হলেও হাসপাতালে নিতে হয়েছে অনেকেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন তরুণদের পদক্ষেপ 'আরেক ব্যক্তির জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য' গড়ে দিতে পারে। ভাইরাসের প্রকোপে বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতেই তরুণদের মধ্যে এই ভাইরাস সম্পর্কে কম সতর্ক থাকার প্রবণতা দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে এই কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মারা গেছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুরুতে যেরকম ধারণা করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাসের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, নতুন কয়েকটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর সেই ধারণা পাল্টানোর সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ৎসংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস নতুন পরিসংখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে করা পরিসংখ্যানে উঠে আসে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তরুণদের ঝুঁকিও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ঐ পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে না যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এই ভাইরাসে আসলে কে সংক্রমিত হচ্ছে এবং কীভাবে এটি তাদের ক্ষতি করছে। আগের পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা হচ্ছিল তরুণদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তরুণদের মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যতটুকু মনে করা হচ্ছিল তা তারচেয়ে বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ২ হাজার ৫০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য পর্যালোচনা করা হয় প্রতিবেদনটি তৈরিতে। সেখানে দেখা যায় ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে তাদের ২০% এর বয়স ২০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে - আর ৩৮% এর বয়স ২০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। এটি সত্যি যে যারা কোভিড-১৯ এর কারণে মারা গেছেন তাদের সিংহভাগই বয়স্ক। বৈশ্বিক হিসেবে ৮৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রায় ১৫% মারা গেছেন। ৪০ বছরের কম বয়সী আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই হার ০.২%। তবে এর মানে এই নয় যে তরুণরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন না। সিডিসি'র রিপোর্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বিশ এবং ত্রিশের কোঠায় বয়স যাদের, তারা যে হারে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তা ৫০ বা ৬০ এর কোঠায় থাকা মানুষের হাসপাতালে যাওয়ার হারের চেয়ে খুব একটা কম না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস: দেশে দেশে বিপর্যয়ের সর্বশেষ নিজের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কিত ডাক্তার-নার্সরা, চীনের সাহায্য চাওয়া হবে বাংলাদেশের পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা ইরানের একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন হচ্ছে কাদের? সিডিসি'র প্রতিবেদনে উঠে আসে যে তরুণদের মধ্যে বড় একটা অংশকে হাসপাতালে নিতে হলেও তাদের খুব কম সংখ্যককেই নিবিড় পরিচর্যায় বা আইসিইউতে নিতে হয়েছে। কিন্তু ঐ সংখ্যাটা অল্প হলেও তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইতালির সরকারি তথ্য থেকে দেখা যায় যে আইসিইউ'তে ভর্তি হওয়া ১২% রোগীর বয়স ১৯ থেকে ৫০ এর মধ্যে। ফ্রান্সের পরিসংখ্যানেও তরুণদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর হার বেশি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ধরণের তথ্য সম্পর্কে সন্দিহান হওয়ার অবকাশও রয়েছে। অন্য অনেক দেশের মতই যুক্তরাষ্ট্রেও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা তিনটি বিশেষ ধরণের ক্ষেত্রে করা হয়েছে - যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত একা থেকে এসেছেন এবং অসুস্থতার লক্ষ্মণ প্রকাশ করেছেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া কারো সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির এবং যাদের মধ্যে উপসর্গগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই তথ্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সংগ্রহ করা হয়েছে, কাজেই এই তথ্য বিভ্রান্তিকর চিত্র প্রকাশ করতে পারে এবং আসলে কোন বয়সের মানুষের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলছে সেসম্পর্কে সঠিক চিত্র নাও প্রকাশ করতে পারে। হার্ভার্ডের টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক মার্ক লিপসিচ আশঙ্কা প্রকাশ করেন এখন পর্যন্ত তরুণদের মধ্যে ভাইরাসের উপসর্গ সীমিত আকারে দেখা গেলেও এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সব দেশ থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করেই দেখা যায় যে ১৯ বছরের কম বয়সী মানুষ ভাইরাসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানে না এরকম হওয়ার কারণ কী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে? জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর সপ্তর থেকে এক অনলাইন নিউজ কনফারেন্সে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন: \"বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তরুণরা যে নিরাপদ, তা নয়।\" \"তরুণদের প্রতি আমার একটি বার্তা রয়েছে। আপনারা সম্পূর্ণ নিরাপদ নন। ভাইরাস আপনাদের কয়েক সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে থাকতে বাধ্য করতে পারে, এমনকি এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে।\" \"আপনারা যদি অসুস্থ নাও হন, আপনারা কোথায় যাচ্ছেন সেই সিদ্ধান্ত আরেকজনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।\" ইতালিতে কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়া মানুষের গড় বয়স সাড়ে ৭৮ বছর। নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী চীনে করোনাভাইরাসের কারণে মারা যাওয়া ৫০ বছরের কম বয়সী মানুষের হার ১% এর চেয়েও কম। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার বদলে 'ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং' বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারিয়া কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন, \"আমরা চাই মানুষ যেন যোগাযোগ রক্ষা করে। \"আমরা চাই ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ যেন যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। কারণ এই মহামারি পরিস্থিতিতে আপনার শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার মত সমান গুরুত্বপূর্ণ আপনার মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা।\"", "doc2": "Həkimlər \"fiziki məsafəni\" saxlamağı tövsiyə edirlər Bu barədə bəyanatla ÜST-nin baş direktoru Tedros Adhanom Ghebreyesus çıxış edib. Onun sözlərinə görə, gənclərin seçimi \"başqaları üçün həyat və ölüm arasında fərq\" təşkil edə bilər. Dünya boyunca 250 min insan koronavirusa yoluxub. Covid-19-dan ölənlərin sayı 11 mini keçib. Gənclərin koronavirus təhlükəsinə laqeyd qalması nəticəsində virusun daha həssas qruplara ötürülməsi barədə məlumatar yayılır. ÜST-ün bəyanatı məhz belə xəbərlərlə əlaqəlidir. Koronavirusun ilk halı ötən ilin dekabr ayında Çində qeydə alınıb. Ancaq indi pandemiyanın yeni mərkəzi Avropadır. Digər ölkələrlə müqayisədə ən çox ölüm halları İtaliyada qeydə alınıb. Cümə günü burada 627 nəfər ölüb və bununla da ölüm hallarının ümumi sayı 4032-ə çatıb. Yaşlı insanların ən həssas qrup olmasına baxmayaraq, gənclər üçün də koronavirusdan qurtuluş yoxdur, Tedros Adhanom Ghebreyesus deyib: “Xəstələnməsən də, getdiyin yeri seçmək başqası üçün həyat və ölüm məsələsi ola bilər. \" Tədqiqatlara əsasən, virusa yoluxma halları bütün yaş qruplarında qeydə alınsa da, o, yaşlı və xəstə insanlar üçün daha təhlükəlidir. İtaliyada Covid-19-dan ölənlərin orta yaşı 78,5-dır. New York Times qəzetinin yazdığına görə, Çində 50 yaşdan aşağı olan qrupda ölüm halları 1 faizi keçməyib, 80 yaşdan yuxarı olanlar arasında isə, bu faiz təqribən 15-ə çatır. Reuters xəbər verir ki, ÜST koronavirusun ötürülməsinin qarşısını almaq üçün \"sosial məsafə\" əvəzinə \"fiziki məsafəni\" saxlamağı tövsiyə edir. \"İnsanların bir-biriylə ünsiyyətdə olmasını istəyirik\", - ÜST təşkilatının epidemioloqu dr. Maria Kerkhove deyib. \"Beləliklə, internet və sosial media vasitəsi ilə əlaqədə qalmağın yollarını tapın, çünki pandemiyadan keçərkən ruhi sağlamlıq fiziki sağlamlığınız qədər mühümdür\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51005025", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-51006914", "doc1": "জানাজায় অংশ নিতে আসে বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি। এক পর্যায়ে তাকে কাঁদতে দেখা যায়। সোলেইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান এবং রবিবার তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ৬২ বছর বয়সি সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানের প্রধান ছিলেন এবং যাকে যুক্তরাষ্ট্র একজন সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখতো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর \"আসন্ন এবং ভয়াবহ হামলার ষড়যন্ত্র\" করছিলেন। কাসেম সোলেইমানির নামাজে জানাজায় নেতৃত্ব দেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি সোলেইমানির জানাজায় কী হয়? রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো। জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলেইমানির ছবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং \"আমেরিকার মৃত্যু\" বলে স্লোগান দিতে থাকে। সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র \"কালো দিন\" দেখবে। \"পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে,\" তিনি বলেন। সোমবারের জানাজার পর, জেনারেলের মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে। তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রূহানি বলেন: \"আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে।\" সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে মনে করা হতো \"এই এলাকার উপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোংরা হাত কেটে ফেলা হবে, সেদিনই তার রক্তের বদলা পূরণ হবে।\" ইরানের প্রতিক্রিয়া: রবিবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কোন শর্ত তারা আর মেনে চলবে না। ওই চুক্তিতে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে ইরান পরমাণু সক্ষমতা কমাতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এক বিবৃতিতে, ইরান বলেছে যে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণের সামর্থ্যে, মাত্রায়, মজুদ করায়, গবেষণা বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোন সীমাবদ্ধতা মানবে না। এই চুক্তির তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। রবিবার, ইরাকি এমপিরা, বিদেশি সেনাদের দেশত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এর আগে, ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে পরাজিত করতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনীকে ইরাকে স্বাগত জানানো হয়। ইরানের কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান- যার নেতৃত্বে সোলেইমানি ছিলেন- তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন। ট্রাম্প কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? ইরানের হুমকির পর, মিস্টার ট্রাম্প বলেন যে, সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাবে, আর সেটা হবে \"অনেকটা অতর্কিতভাবে\"। তিনি বলেন, তেহরান যদি আমেরিকান নাগরিক বা মার্কিন সম্পদে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৫২টি সাইটে হামলা চালাতে প্রস্তুত এবং তা \"খুব দ্রুত ও কঠোর\" হবে। আরো খবর: ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দিল্লিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপরে মুখোশধারীদের হামলা বিমানের মুনাফা: দেনা শোধ না করে লাভ কতটা যৌক্তিক? বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে কীভাবে তথ্য যাচাই হয় চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টা", "doc2": "Məzmun mövcud deyil Paylaşımın sonu YouTube, 1 İran televiziyası azı 35 nəfərin öldüyünü, 48 nəfərin isə yaralandığını bildirib. Son günlərdə onun dəfn mərasimi üçün toplaşan iranlıların sayının milyonlarla olduğu güman edilir. O bu gün doğma şəhəri Kirmanda dəfn edilir. Şənbə günündən bəri Tehran və digər şəhərlərdə onun matəm mərasimi keçirilib. Kirman şəhərində dəfn mərasimi Video açılmırsa, burada izləyin. Qasım Süleymani cümə günü Prezident Donald Trump-ın əmri ilə ABŞ tərəfindən, dron hücumu nəticəsində öldürülüb. Onun öldürülməsi ABŞ və İran arasındakı qarşıdurma qorxusunu artırıb. İranın paytaxı Tehran şəhərində keçirilən vida mərasimini İranin Ali Dini Rəhbəri Ayətullah Əli Xameneyi aparıb. Kütləvi informasiya vasitələri mərasim zamanı onun ağladığı anı da görüntüləyib. İran bu ölümə görə \"ağır qisas\" alacağını bildirib və bazar günü 2015-ci il nüvə razılaşmasından çəkilib. ABŞ-ın İranın xarici işlər naziri Cavad Zərifin bu həftə sonu New-Yorkda BMT-yə baş çəkməsi üçün vizasına rədd cavabı verdiyi bildirir. Belə bir addım xarici vəzifəli şəxslərin BMT-nin qərargahlarına daxil olmasına zəmanət verən razılaşmanı pozmuş olardı. 62 yaşlı Süleymani İranın Yaxın Şərqdə hərbi əməliyyatlarının lideri idi. O, İranda ölkənin Ali Dini Rəhbəri Ayətullah Əli Xameneyidən sonra ikinci nüfuzlu şəxs idi. ABŞ onu \"terrorçu\" və ABŞ hərbi qüvvələrinə təhlükə hesab edirdi. Süleymaninin vida mərasimində nələr olub? İran Dövlət televiziyası Tehrandakı böyük izdihama milyonlarla insanın toplaşdığını bildirib, lakin bu cür say dəyərləndirilməsinin təsdiqə ehtiyacı var. İzdihamda iştirak edənlərdən kimsə ağlayır, kimsə mərhum komandirin şəklini əlində tutur. Tabutu başlarının üstündən ötürən matəm iştirakçıları \"Amerikaya ölüm\" şüarı səsləndiriblər. Mərhumun qızı Zeynəb Süleymani atasının qətliylə bağlı Amerikanın \"qara günlə\" üzləşəcəyini deyib. \"Ağılsız Trump, atamın şəhidliyi ilə hər şeyin bitəcəyini düşünmə\", - o deyib. Bazar ertəsi günü keçirilən matəm mərasimindən sonra generalın cənazəsi şiələrin müqəddəs şəhəri Quma aparılacaq. Bundan sonra isə mərhum generalın doğma şəhəri Kirmanda dəfn mərasimi keçiriləcək. İran qətl hadisəsinə necə cavab verib? Bazar günü İran 2015-ci ilin nüvə sazişi çərçivəsində nəzərdə tutulan heç bir məhdudiyyətə artıq əməl etməyəcəyini bəyan edib. 2015-ci ilin nüvə sazişi iqtisadi sanksiyaların ləğvi qarşılığında İranın nüvə sahəsində fəaliyyətinin məhdudlaşdırılmasını nəzərdə tutur. Tehran uranın zənginləşdirilməsi, zənginləşdirmə səviyyəsi, zənginləşdirilmiş materialların saxlanması və ya nüvə tədqiqatlarının inkişafı sahəsində heç bir məhdudiyyətə əməl etməyəcəyini bildirib. Nüvə sövdələşməsinin üç Avropa iştirakçısı - Almaniya, Fransa və Böyük Britaniya- İranı sazişin şərtlərinə əməl etməyə çağırıb. Bazar günü İraq parlamenti xarici qoşunları ölkədən çıxmağa çağıran qətnamə qəbul edib. Trump necə reaksiya verib? İranın Süleymaninin qətliylə bağlı qisas alacağı barədə xəbərdarlığı ilə bağlı prezident Trump ABŞ-ın \"bəlkə də qeyri-mütənasib şəkildə cavab verəcəyini\" deyib. Trump İranın mədəniyyət obyektlərinin hədəfə alınacağı barədə təhdidləri təkrarlayaraq, Tehranın amerikalılara və ya ABŞ obyektlərinə hücum edəcəyi təqdirdə ABŞ-ın cavabının \"çox sürətli və çox sərt olacağını\" deyib. Bağdadın ABŞ qoşunlarının ölkədən çıxmasını tələb edən qətnaməsiylə ilə bağlı isə prezident Trump, ABŞ qoşunlarının çıxacağı təqdirdə İraqı sərt sanksiyaların tətbiq olunacağı ilə hədələyib. \"Orada olduqca bahalı bir aviasiya bazamız var. İnşası milyardlarla dollara başa gəlib. Xərcləri bizə ödəməyincə çıxan deyilik\", - Trump jurnalistlərə deyib. İranın əsas mədəniyyət obyektləri hansılardır? ABŞ-ın İranın mədəniyyət obyektlərini hədəf alacağı ehtimalı, İranda və onun xaricində həyəcan yaradıb. Beynəlxalq hüquq normalarına uyğun olaraq bu cür hərəkət hərbi cinayət sayıla bilər. İranda 20 Unesco Dünya İrsi obyekti var. Həmin obyektlər Unesco-nun siyahısına onların mədəni, tarixi və ya elmi əhəmiyyətini qorumaq məqsədiylə salınıb. Həmin siyahıya salınan obyektlər arasında aşağıda göstərilənlər də var: Digər tərəfdən, İranda İslam Respublikasının banisinə həsr olunmuş Ruhullah Xomeyninin məqbərəsi kimi Unesco-nun siyahısında olmayan, lakin bununla belə böyük mədəni əhəmiyyət daşıyan bir sıra digər obyektlər də var."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49705626", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49682624", "doc1": "আবকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে এই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু মি. পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন। সৌদি আরবের জ্বালানী মন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার কারণে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেকের সমান এটা। সংবাদদাতারা বলছে, বিশ্বের তেলের মূল্যে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকবে। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আবাকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে বিরাট অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। এসময় খুরাইস তেলক্ষেত্রে দ্বিতীয় একটি ড্রোন আক্রমণ ঘটে যা সেখানেও অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে। পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। এ হামলার জন্য যদি বিদ্রোহীরা দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কয়েকশো মাইল পথ উড়িয়ে নিতে হয়েছে হামলাকারী ড্রোনগুলোকে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এখন খতিয়ে দেখছেন হামলাগুলো চালানোর জন্য ড্রোনের পরিবর্তে উত্তর দিক থেকে ইরান কিংবা ইরাকে তাদের শিয়া মিত্রদের ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ঘটেছে কিনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইক পম্পেও'রবক্তব্য: এক টুইট বার্তায় মি. পম্পেও বলেন, ইয়েমেন থেকেই যে ড্রোনগুলো এসেছিল, তার 'কোন প্রমাণ নেই'। তার বর্ণনায় বিশ্বের তেল সরবরাহে এটি ছিল একটি নজিরবিহীন হামলা। \"আমরা পৃথিবীর সব জাতিকে আহ্বান জানাই ইরানের এই হামলার প্রকাশ্য ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাতে\", যোগ করেন মি. পম্পেও। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের জ্বালানী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে মি. পম্পেও আরো বলেন, \"এই আগ্রাসনের জন্য ইরানই দায়ী\"। হোয়াইট হাউজ বলছে, সৌদি আরব যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এজন্য তাদেরকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরো খবর: উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের বন্দরে নামতে দিল ইটালি গুপ্তচর কবুতর, কাক আর ডলফিনের কথা শুনেছেন? রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে?", "doc2": "Mike Pompeo hücumların Yəmənin İran tərəfindən dəstəklənən Husi üsyançılarının həyata keçirdiyi barədə iddiaları rədd etmişdi. İranın Xarici İşlər naziri Cavad Zərif bəyan edib ki, \"günahın İranın üzərinə atılması Yəməndəki fəlakətə son qoymayacaq\". Səudiyyə Ərəbistanı tərəfinin bildirdiyinə görə, şənbə hücumları nəticəsində neft hasilatı ikiqat azalaraq gündəlik 5,7 milyon barrelə düşüb. Nəticədə, ekspertlər dünya bazarlarında neftin bahalaşmasını proqnozlaşdırırlar, odur ki, bazar ertəsi günü neft birjalarında vəziyyət dünyanın diqqət mərkəzində olacaq. 2015-ci ildə Yəmən prezidentini devirəndən bəri husilər Qərbin dəstəklədiyi və Səduyyənin baçılıq etdiyi koalisiya ilə döyüşlər aparır. Onlar Əbkeykdə və Xureysdə yerləşən neft obyektlərinə şənbə günü 10 dronla hücum edildiyini bəyan ediblər. Lakin Mike Pompeo deyib ki, hücumun Yəmən tərəfindən edildiyinə dair \"sübut yoxdur\". ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo, şənbə günü Səudiyyə Ərəbistanının neft obyektlərinə edilən dron hücumlarına görə İranı günahlandırıb. İranın Xarici İşlər naziri Cavad Zərif özünün Twitter səhifəsində ABŞ dövlət katibinə lağ edərək yazıb ki, \"maksimal təzyiq siyasəti iflasa uğrayandan sonra, dövlət katibi Pompeo indi də maksimal təhrifə əl atıb\". Bu zaman İran diplomatiyasının başçısı Trump administrasiyasının İrana qarşı sanksiyalar tətbiq edərkən elan olunan \"maksimal təzyiq kampaniyasını\" nəzərdə tutub. Cavad Zərif qeyd edib ki, ABŞ və onun müttəfiqlərinin \"Yəməndə ilişib qalmasının səbəbi silah üstünlüyünün onlara hərbi üstünlük verəcəyi barədə illüziyalarıdır\". \"Bölgədə bu gün baş verən və dünyanı narahat edən hadisələr əslində ABŞ-ın yürütdüyü səhv siyasətin və hazırladığı qəsd planlarının nəticəsidir\", - İran XİN-in rəhbəri qeyd edib. Nasa peykinin kosmosdan çəkdiyi fotoda dron hücumu nəticəsində başlamış yanğın və neft mədənlərinin tüstüləndiyi görünür. Səudiyyənin Aramco dövlət neft şirkətinin iki obyektinə edilmiş hücüma görə məsuliyyəti üzərinə Yəmənin İran tərəfindən dəstəklənən Husi üsyançıları götürüb. ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo Husi üsyançılarının bu iddiasını rədd edib. İran ABŞ-ın ittihamlarını \"'əsassız, anlaşılmaz və mənasız olduğunu\" bildirib. Səudiyyə Ərəbistanının enerji nazirinin bildirdiyinə görə, hücumlar nəticəsində gündəlik neft hasilatı 5,7 milyon barrel azalıb - bu isə krallığın neft hasilatının təxminən yarısını təşkil edir. Müxbirlərə görə, bu hadisə dünya neft bazarında qiymətlərə əhəmiyyətli təsir göstərə bilər. Televiziya görüntülərindən Aramco-nun ən böyük neft emalı zavodunun yerləşdiyi Əbkeykdə böyük bir yanğının baş verdiyi aydın olur. Daha bir dron hücumu isə Xureys neft mədənində yanğına səbəb olub. Səudiyyə Ərəbistanı Yəməndə Husi üsyançı hərəkatına qarşı yaradılmış, Yəmən hökumətini dəstəkləyən və Qərb tərəfindən dəstəklənən hərbi koalisiyaya rəhbərlik edir. Səudiyyənin neft obyektlərinə hücumlar Donald Trump-ın İranın nüvə fəaliyyətini məhdudlaşdıran nüvə razılaşmasından imtina etməsindən sonra və Irana qarşı ABŞ sanksiyalarının bərpası nəticəsində ABŞ-İran münasibətlərindəki artmış və davam edən gərginlik fonunda baş verib. ABŞ Səudiyyənin neft obyektlərinə hücumlara görə İranı günahlandırır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50083580", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50066490", "doc1": "গত ৯ই অক্টোবর এই চিঠিটি লেখা হয়, এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটা ওয়াশিংটন থেকে আংকারায় পাঠানো হয়। এতে মি. এরদোয়ানকে লক্ষ্য করে মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন: \"কঠিন হবেন না। বোকামি করবেন না।\" তুর্কী সংসদে বিবিসির সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মি. এরদোয়ান ঐ চিঠিকে পুরোপুরিভাবে খারিজ করে দিয়েছেন। এই চিঠি যে দিনটিতে তুরস্কের হাতে পৌঁছায় সেই দিনেই তুর্কী সামরিক বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রতি একটা 'সবুজ সঙ্কেত' দেয়া হয়েছে। কিন্তু মি. ট্রাম্পের সমালোচনার একটা বড় অংশ এসেছে তার নিজের দলের কাছ থেকে। বিরল এক ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল যৌথভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ভর্ৎসনা করেছেন। মি. এরদোয়ানের কাছে লেখা মি. ট্রাম্পের চিঠি। আরো পড়তে পারেন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে? ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অফ রেপ্রেজেনটেটিভে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১২৯ সদস্য বুধবার মি. ট্রাম্পের নিন্দা করে যে ভোটের আয়োজন করেন - তাতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি সদস্যরাও যোগ দেন। সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে মি. ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মিজ পেলোসি এবং সিনেট মাইনরিটি লিডার চার্লস শুমাখার বৈঠকে ছেড়ে চলে যান। গত বুধবার মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সেনা অভিযানে হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ, সিরিয়ার সীমান্ত \"আমাদের সীমান্ত না\" এবং কুর্দিরাও \"কোন ফেরেশতা নন।\" তুরস্ক গত সপ্তাহে যে অভিযান শুরু করে তার দু'টি লক্ষ্য: প্রথমত ওয়াইপিজি নামে পরিচিত কুর্দি-সিরিয়ান মিলিশিয়া বাহিনীকে হটিয়ে দেয়া। তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্পের চিঠিকে 'খারিজ করে দিয়েছেন।' তুর্কী অভিযানের দ্বিতীয় লক্ষ্য: উত্তর সিরিয়ায় একটি 'নিরাপদ এলাকা' গড়ে তোলা যেখানে তুরস্কে বসবাসকারী প্রায় ২০ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীদের এনে বসানো হবে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শক্তি ছিল। ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে সেখানে জিহাদি শক্তির পুনরুত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: পাকিস্তানে যে মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম নেয়া হয় না প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যা কী করে সম্ভব?", "doc2": "\"Əlbəttə, biz bunu unutmadıq. Unutmaq düzgün deyil, amma qarşılıqlı sevgimiz və hörmətimiz bunun gündəmdə qalmasına izn vermir. Bu mövzunu bugünki məsələmiz və prioritetimiz olaraq da görmürük. Vaxtı, zamanı gələndə bu məsələ ilə bağlı lazım olanın ediləcəyinin bilinməsini istəyirik\", deyə cənab Erdoğan cümə günü İstanbulda jurnalistlərə deyib. Ötən gün ABŞ Prezidenti Donald Trump-ın \"Barış Pınarı Hərəkatı\"-nın başladığı gün Türkiyə Prezidenti Recep Tayyip Erdoğana Suriyanın şimal-şərqi ilə bağlı razılığa gəlməyə çağırdığı məktub ortaya çıxıb. BBC-nin əldə etdiyi məlumatda deyilir ki, Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğan ABŞ prezidenti Donald Trump-ın məktubunu \"zibilə atıb\". Məktubun alındığı gün Türkiyə Suriya sərhədini keçərək kürd silahlılarına qarşı hərbi əməliyyat həyata keçirib. Məktub nə barədə idi? İlk olaraq Fox News müxbirinin Twitter səhifəsindən paylaşdığı məktub daha sonra Ağ Ev tərəfindən də təsdiqlənib. New York Times qəzeti Trump-ın çərşənbə günü Suriya haqqında Konqres liderləri ilə keçirdiyi iclasda Türkiyənin hərbi əməliyyatlarına \"yaşıl işıq\" vermədiyini sübut etmək üçün Erdoğana \"ağır\" məktub yazdığını bildirib. Trump daha sonra Nümayəndələr Palatasında azlıq fraksiyasının lideri Respublikaçı Kevin McCarthy-den məktubun nüsxəsini iclasdakılara paylamasını istəyib. Trump məktubda Erdoğana \"Əgər bu işi düzgün və insanpərvər bir şəkildə həyata keçirsəniz, tarix sizə müsbət baxacaq. Yaxşı şeylər baş verməzsə, sizi əbədi olaraq şeytan kimi görəcək. \"Dikbaş olma. Axmaq olma! Sənə sonra zəng edəcəyəm\" deyib. Trump öz məktubuna Suriya Demokratik Qüvvələrinin Baş Komandiri Mazlum Kobaninin Türkiyə ilə danışıqlar aparmaq istədiyini və bəzi güzəştlərə getmək niyyətində olduğunu vurğuladığı məktubunu da əlavə edib. Trump Türkiyənin bəzi problemlərini həll etmək üçün çox çalışdığını vurğulayıb: \"Cənab Prezident, gəlin yaxşı razılıq ortaya qoyaq. Minlərlə insanın öldürülməsinə görə məsuliyyət daşımaq istəmirsiniz və mən Türkiyə iqtisadiyyatını məhv etməkdə məsul olmaq istəmirəm - və bunu edəcəyəm. Keşiş Brunsonla bağlı məsələdə mən bunu sizə yaşatmışdım. Bəzi problemlərinizi həll etmək üçün çox çalışdım. Dünyanı məyus etmə. Böyük razılıq əldə edə bilərsiniz. Baş Komandir Mazlum sizinlə danışıqlar aparmağa hazırdır və keçmişdə heç vaxt etmədikləri güzəştlərə getməyə hazırdır. Mən gizli olaraq yeni aldığım məktubun bir nüsxəsini əlavə edirəm\". Məktubun üzərində \"9 oktyabr, 2019\" tarixi qeyd olunur. Bu tarix Türkiyənin Suriyanın şimal-şərqindəki Suriya Demokratik Qüvvələrinin nəzarəti altındakı ərazidə təhlükəsiz ərazi yaratmaq üçün başlatdığı \"Barış Pınarı Hərəkatı\"na başladığı günə təsadüf edir. Türkiyə prezidentinə yaxın mənbələrdən BBC-yə verilən məlumatda deyilir ki, cənab Erdoğan məktubu \"tamamilə rədd edib və zibilə atıb\". Əsas hissəsini kürd qruplaşmalarının təşkil etdiyi Suriya Demokratik Qüvvələri Suriyada başda ABŞ olmaqla Qərbin, özünü İslam Dövləti adlandıran hərbi qruplaşma (İŞİD) ilə mübarizəsindəki ən əhəmiyyətli müttəfiqidir. Lakin Türkiyə Suriya Demokratik Qüvvələrini, YPG, PYD-ni PKK-nın bir qolu olaraq görür və \"terror təşkilatı\" kimi tanıyır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44107528", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42262357", "doc1": "জেরুসালেম - যে শহরকে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি - দুপক্ষই তাদের রাজধানী হিসাবে বিবেচনা করে পাঁচ মাসের মাথায় আজ (সোমবার) সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মেয়ে ইভাংকা ট্রাম্প এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারকে ইসরায়েল পাঠিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও লিংকে যোগ দেবেন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনরাই আপত্তি করেনি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিংহভাগই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের বক্তব্য - জেরুসালেমের সার্বভৌমত্ব-বিতর্কের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া ঠিক এ কারণে, ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সব দেশই এখনও তেল আবিবেই তাদের দূতাবাস রেখে দিয়েছে। কিন্তু অন্যদের উপেক্ষা করে এতদিনের সেই নীতি এখন ভাঙছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একাই তিনি তার দেশের দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করছেন। স্বভাবতই ইসরায়েল এতে সন্তুষ্ট, কিন্তু ফিলিস্তিনিরা সহ পুরো আরব বিশ্বের নেতারাই সাবধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকেই নস্যাৎ করবে। এমনকি আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব বলেছে - প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য চরম এক উস্কানি। আজ (সোমবার) মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিনেই গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা ৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে উল্লসিত ইসরায়েলিরা, কিন্তু ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা এই সিদ্ধান্তের ঝুঁকি কোথায় ? প্রাচীন এই শহরটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি বিরোধের একদম কেন্দ্রে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা ইয়োল্যান্ডে নেল বলছেন, জেরুসালেমের অবস্থার যে কোনো পরিবর্তনের প্রভাব নানাবিধ এবং তা যে কোনো সময় আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রথম কথা, ধর্মীয় দিক থেকে জেরুসালেম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি শহর। ইসলাম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে। এছাড়া, এর রাজনৈতিক গুরুত্ব হয়তো এখন ধর্মীয় গুরুত্বকেও ছাপিয়ে গেছে। ইসরায়েল বলে \"অভিন্ন জেরুসালেম তাদের চিরদিনের রাজধানী।\" আসলে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ইসরায়েল জেরুসালেমের পশ্চিমাংশে দেশের সংসদ ভবন স্থাপন করে। ১৯৬৭ সালে আরবদের সাথে যুদ্ধে জিতে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমও দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুসালেম শহরটিকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে ঘোষণা করে। মি ট্রাম্পের মেয়ে ইভাংকা ট্রাম্প এবং জামতা জ্যারেড কুশনারকে (ডানে) বেই গুইরান বিমানবন্দরে স্বাগত জানাচ্ছেন ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান (বায়ে) ফিলিস্তিনিরা কি বলে? ফিলিস্তিনিরা কোনোদিনই পূর্ব জেরুসালেমের দখল মেনে নেয়নি। তারা সবসময় বলে আসছে পূর্ব জেরুজালেম হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। ফিলিস্তিনি নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিয়ে দেওয়া। তাদের কথা, জেরুজালেম তাদের না থাকলে, কোনো টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন কখনই সম্ভব হবেনা। যদিও গত দশকগুলোতে পূর্ব জেরুসালেমের বহু জায়গায় ইহুদি বসতি বানিয়েছে, কিন্তু তারপরও এখানকার সিংহভাগ বাসিন্দা ফিলিস্তিনি যারা শত শত বছর ধরেই এই শহরে বসবাস করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও মেনে নিয়েছে, জেরুসালেম শহরের মর্যাদা, মালিকানা নির্ধারিত হবে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চূড়ান্ত শান্তি রফার অংশ হিসাবে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে তা লিখিত আকারে রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। সমস্ত বিদেশি দূতাবাস তেল আবিবে, যদিও জেরুসালেমে অনেকে দেশের কনস্যুলেট রয়েছে। এতদিনের সেই নীতি এখন ভাঙছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত ইহুদি টুপি বিক্রি হচ্ছে জেরুসালেমে ট্রাম্প কেন এই ঝুঁকি তিনি নিচ্ছেন? ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন নতুন কোনো বিষয় নয়। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালে আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে এই ইহুদি রাষ্ট্রকে যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সাহায্য দিয়ে আসছে তা অন্য কোনো দেশের সাথেই তুলনীয় নয়। তবে জেরুসালেমকে রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, 'প্রেসিডেন্ট নেহাতই একটি বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন' তারা বলার চেষ্টা করছেন - জেরুসালেমের সীমানা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান এখনও আমেরিকা মেনে নিচ্ছেনা, সেটা ঠিক হবে চূড়ান্ত শান্তি মীমাংসায়। ফিলিস্তিনিরা কোনোভাবেই তাতে ভরসা পাচ্ছেনা। তাদের কথা, মি ট্রাম্প জেরুসালেমে ইসরায়েলের তৈরি ডজন ডজন অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোতে স্বীকৃতি দিয়ে দিচ্ছেন। ওয়াশিংটনে বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-উশেরও বলছেন, নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইহুদিদের সমর্থন পেতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন - জিতলে তিনি জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন এবং মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখছেন। তবে এই স্বীকৃতি দিয়ে মি ট্রাম্প যে পরে প্রতিদান হিসাবে শান্তি চুক্তি ত্বরান্বিত করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দেবেন, তার কোনো ইঙ্গিতই নেই।", "doc2": "Prezident Trump və onun yoldaşı Melania-nın İsrailə may ayında səfər ediblər. Trump bunu Yaxın Şərqdə sülh proseslərinə təkan vermək üçün \"uzun zaman gecikmiş addım\" kimi təsvir edib. Qədim Qüds şəhərinin taleyi İsrail və Fələstin arasında mübahisəli məsələlərdən biridir. İsrail Donald Trump-ın qərarını \"tarixi\" adlandırıb, amma beynəlxalq aləmdə bu qərar kəskin reaksiyalar doğurub. Donald Trump deyib ki, ABŞ tərəflər razılaşarsa, uzun müddətdir davam edən münaqişənin çözülməsi üçün \"iki dövlət həllini\" hələ də dəstəkləyir. İsrail Donald Trump-ın qərarını \"tarixi\" adlandırıb, amma beynəlxalq aləmdə bu qərar kəskin reaksiyalar doğurub Fələstin lideri Mahmoud Abbas Trump-ın qərarını \"acınacaqlı\" adlandıraraq, ABŞ-ın artıq sülh vasitəçisi ola bilməyəcəyini deyib. BMT-nin Təhlükəsizlik Şurasının 15 üzvündən 8-i ABŞ-ın qərarını müzakirə etmək üçün həftə sonu təcili toplantı keçirməyə çağırıb. Səudiyyə Ərəbistanı ABŞ-ın Qüdsi İsrail paytaxtı kimi tanımasını qınayıb. Körfəz krallığı yaydığı bəyanatda Trump-ın qərarını \"ədalətsiz və məsulliyyətsiz\" adlandırıb. Ancaq İsrail baş naziri Benjamin Netanyahu bunu \"tarixi gün\" adlandırıb. Donald Trump bildirib ki, ABŞ Dövlət Departamentinə ABŞ səfirliyini Tel-Əvivdən Qüdsə köçürməyə göstəriş verib. O, çıxışında prezident seçkisi qabağı belə bir vədinin olduğunu xatırladıb və indi bu vədini yerinə yetirdiyini deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52958742", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38517497", "doc1": "ইয়াদ হালাক ছিলেন অটিস্টিক, তার হত্যাকান্ডকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ৩২ বছর বয়সী ইয়াদ হালাক যখন গত ৩০শে মে পূর্ব জেরুসালেমে তার বিশেষ স্কুলে যাচ্ছিলেন তখন ইসরায়েলি পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মি. হালাকের কাছে অস্ত্র আছে বলে তারা সন্দেহ করছিলেন। যখন তাকে থামতে বলা হয়েছিল, তখন না থামায় তাকে গুলি করা হয়। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছিল ইয়াদ হালাকের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে এতদিন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেন নি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত রোববার তিনি ইয়াদ হালাকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে তিনি আশা করেন। হাজার হাজার মানুষ তার মৃত্যুতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: জর্জ ফ্লয়েড হত্যা: মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ৪২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭শর বেশি সব কিছু চালু হবার পর ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অনুসরণে ঢিলেঢালা মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকের আগে তিনি বলেন, “ইয়াদ হালাকের সঙ্গে যা হয়েছে, তা একটি ট্র্যাজেডি। এই লোকটির অটিজম ছিল। খুব স্পর্শকাতর একটা এলাকায় তাকে ভুলক্রমে সন্ত্রাসবাদী বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।” হালাক পরিবারের আইনজীবী জাদ কাদমানি বলেছেন, পুলিশ অফিসাররা যে অপরাধ করেছেন, এমন সন্দেহ বাড়ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই অফিসারদের বিচারের মুখোমুখি করবেন। ইয়াদ হালাককে যেভাবে হত্যা করা হয় ইয়াদ হালাক গত শনিবার জেরুসালেমের ওয়াডি আল জজ থেকে শহরের কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের একটি প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। ইসরায়েলি পুলিশের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তার হাতে এমন কিছু ছিল, যা পিস্তলের মতো দেখাচ্ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এরপর তাকে তাড়া করে। এসময় পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়। তার দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। প্রধাননমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই মৃত্যু একটি 'বিয়োগান্ত' ঘটনা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মি. হালাকের বুকে দুবার গুলি করা হয়েছিল। মি. হালাকের চাচাতো ভাই ডাঃ হাতেম আওয়াইয়ি বলেন, অটিজমে ভোগার কারণে অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তার অসুবিধা হতো। ইয়াদ হালাকের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। হাজার হাজার মানুষ তার জানাজায় অংশ নেয়। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে অনেক ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি। অনেকে তার মৃত্যুকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে মারা যাওয়া জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তুলনা করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‌‘প্যালেস্টিনিয়ান লাইভস ম্যাটার’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছিলেন। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বিকল্প প্রধানমন্ত্রী বেনি গ্যানটয বলেছিলেন, এই ঘটনায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা ‘সত্যিই দুঃখিত।’", "doc2": "Elor Azaria (sağda) 20 yaşlı çavuş Elor Azaria ötən ilin martında Hebronda artıq zərəsizləşdirilmiş 21 yaşlı Abdul Fatah əl-Şərifi başından güllələyib. İsrail hərbi qüvvələri onun hökmünün bazar günü oxunacağını bildirib. Bu iş İsraildə fikir ayrılığı yaradıb. Bir çoxları iddia edir ki, o, hərbi davranış kodeksi pozduğuna görə cəzalandırılmalıdır. Bəziləri isə onun hərəkətlərinə haqq qazandırır. Əsgəri dəstəkləyən mitinqlər keçirilib, lakin yüksək rütbəli hərbi rəsmilər Azarianın hərəkətlərinin İsrail Müdafiə Qüvvələrinin (İDF) dəyərlərini əks etdirmədiyini deyib. Cənab Netanyahu çağırışını Facebook-da edib: \"Mən Elor Azarianın əfv edilməsini dəstəkləyirəm\". \"Bu bizim hamımız üçün ağır və ağrılı bir gündür - və xüsusən Elor, onun ailəsi, mən də daxil olmaqla əsgərlərimiz və əsgərlərimizin ailələri üçün də.\" Mart ayında baş nazir Azarianın ailəsinə zəng edərək onlarla rəğbətini paylaşıb. Sağçı təhsil naziri Naftali Bennet daxil olmaqla hakim koalisiyanın başqa üzvləri də Azarianın əfv edilməsini dəstəkləyir. Lakin mərkəz sol siyasətçi və keçmiş xarici işlər naziri Tzipi Livni hökmün qəbul edilməsinin lazım olduğunu deyib. Prezident Reuven Rivlin əfv mövzusunu yalnız məhkəmə prosesi bitdikdən sonra müzakirə edə biləcəyini bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47426938", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47531102", "doc1": "আল-জাহিজ সাতটি খণ্ডে দ্য বুক অফ অ্যানিমেলস বইটি লিখেছিলেন। তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে। তার এই প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন যার মাধ্যমে একটি প্রাণীর জনগোষ্ঠী থেকে নতুন প্রজাতির উদয় ঘটে। এই থিওরি বিজ্ঞানের জগতে বৈপ্লবিক তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। অন দ্য অরিজিন অফ স্পেশিস নামে চার্লস ডারউইনের এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালে। তার এই গ্রন্থে তিনি বিবর্তনবাদকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে কোনো প্রাণী ক্রমাগত অভিযোজনের ফলে আপন পরিবেশের জন্যে বিশেষায়িত হতে হতে এক সময় নতুন একটি প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু চার্লস ডারউইনের আগে ইসলামিক বিশ্বেও বিবর্তনবাদ তত্ত্বের আরো একজন প্রবক্তা ছিলেন। প্রাকৃতিক নির্বাচন চার্লস ডারউইনের প্রায় এক হাজার বছর আগে ইরাকে একজন মুসলিম দার্শনিক ছিলেন যিনি প্রাকৃতিক নিয়মে প্রাণীকুলের মধ্যে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে তার উপর একটি বই লিখেছিলেন। এই দার্শনিকের নাম ছিল আল-জাহিজ। যে পদ্ধতিতে এই পরিবর্তন ঘটে তিনি তার নাম দিয়েছিলেন প্রাকৃতিক নির্বাচন। তার আসল নাম ছিল আবু উসমান আমর বাহার আলকানানি আল-বাসরি, তবে ইতিহাসে তিনি আল জাহিজ নামেই বেশি পরিচিত। তার এই নামের অর্থ এমন একজন ব্যক্তি যার চোখের মণি বেরিয়ে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব। আল-জাহিজের ছবি দিয়ে কাতারে প্রকাশিত ডাক টিকেট। এরকম অর্থের কারণে কাউকে এই নামে ডাকা হয়তো শোভন নয়, কিন্তু এই আল-জাহিজ নামটিই বিখ্যাত হয়ে আছে তারই লেখা প্রজনন সংক্রান্ত একটি বই-এর কারণে। গ্রন্থটির নাম কিতাব আল-হায়ওয়ান অর্থাৎ প্রাণীদের বিষয়ে বই। তার জন্ম হয়েছিল ৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে, দক্ষিণ ইরাকের বাসরা শহরে, মুতাজিলাহ আন্দোলনের সময়। এসময় ধর্মতাত্ত্বিক কিছু মতবাদ জনপ্রিয় হচ্ছিল যেখানে মানুষের যুক্তির চর্চার উপর জোর দেওয়া হচ্ছিল। তখন ছিল আব্বাসীয় খেলাফত বা শাসনের চরম সময়। সেসময় জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক বই গ্রিক ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হতো। জোরালো বিতর্ক হতো ধর্ম, বিজ্ঞান এবং দর্শন বিষয়ে। এসবের কেন্দ্র ছিল বাসরা শহর। এসব আলোচনা থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল আল-জাহিজের চিন্তাধারা। চীনা বনিকেরা ততদিনে ইরাকে কাগজের ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন তত্ত্ব লিখিত আকারে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। তরুণ আল-জাহিজ তখন নানা বিষয়ে লেখালেখি করতে শুরু করেন। যেসব বিষয়ে তার খুব বেশি আগ্রহী ছিল সেগুলোর মধ্যে ছিল বিজ্ঞান, ভূগোল, দর্শন, আরবি ব্যাকরণ এবং সাহিত্য। ধারণা করা হয় তার জীবদ্দশাতেই তিনি দুশোর মতো বই প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ এই আধুনিক কাল পর্যন্তও টিকে রয়েছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। দ্য বুক অফ অ্যানিমেলস তার বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে দ্যা বুক অফ অ্যানিমেলস বা প্রাণী বিষয়ক বইটি। এটি একটি এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো যাতে সাড়ে তিনশো প্রাণীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটিতে তিনি এমন কিছু ধারণা তুলে ধরেছেন যার সাথে আধুনিক কালের বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদে তত্ত্বের চমকপ্রদ অনেক মিল পাওয়া যায়। আল-জাহিজ তার বইতে লিখেছেন, \"টিকে থাকার জন্যে প্রাণীদেরকে লড়াই করতে হয়। লড়াই করতে হয় তাদের খাদ্যের জন্যেও, এবং তারা নিজেরাই যাতে অপরের খাদ্য না হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যে। এমনকি, প্রজননের জন্যেও তাদেরকে সংগ্রাম করতে হয়।\" \"নিজেদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে গিয়ে পরিবেশের নানা কারণে প্রাণীরা নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং এভাবেই তারা নতুন নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।\" তিনি আরো লিখেছেন, \"যেসব প্রাণী প্রজনন ঘটাতে টিকে থাকতে পারে তারা তাদের সফল বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারে।\" আল-জাহিজের কাছে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল যে এসব প্রাণীকুলকে টিকে থাকার জন্যে অনবরত সংগ্রাম করতে হয়। এবং একটি প্রজাতি সবসময়ই আরেকটি প্রজাতির চেয়ে শক্তিশালী। ডারউইন ও তার বিবর্তনবাদের তত্ত্ব নিয়ে ফরাসী একটি ম্যাগাজিনে কার্টুন। আরো পড়তে পারেন: তুরস্কে স্কুলের বই থেকে বাদ পড়ছে ডারউইনের তত্ত্ব ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? ওসামা বিন লাদেনের ছেলে সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায় টিকে থাকার জন্যে খাবার সংগ্রহের লড়াই-এ প্রাণীদের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়। অন্যের খাবার হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং সন্তান জন্মদান করতেও তাদের সংগ্রাম করতে হয়। এসব কারণে তারা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে রূপান্তর ঘটাতে বাধ্য হয়। আল-জাহিজের এসব ধারণা তার পরবর্তী অন্যান্য মুসলিম চিন্তাবিদদেরকেও প্রভাবিত করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আল-ফারাবি, আল-আরাবি, আল বিরুনী এবং ইবনে খালদুন। পাকিস্তানের 'আধ্যাত্মিক পিতা' মোহাম্মদ ইকবাল, যিনি আল্লামা ইকবাল নামেই অনেক বেশি পরিচিত তিনিও আল জাহিজের এসব তত্ত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। ১৯৩০ সালে প্রকাশিত তার বক্তব্যের একটি সঙ্কলনে তিনি বলেছিলেন, \"আল-জাহিজ দেখিয়ে দিয়েছেন অভিবাসন এবং পরিবেশে পরিবর্তনের কারণে প্রাণীদের জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে।\" 'মোহাম্মদীয় তত্ত্ব' বিবর্তনবাদের ধারণায় মুসলিম বিশ্বের অবদান বিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় পণ্ডিতদের কাছে গোপনীয় কোন বিষয় নয়। এমনকি, চার্লস ডারউইনের একজন সমসাময়িক বিজ্ঞানী উইলিয়াম ড্রেপার ১৮৭৮ সালে \"বিবর্তনবাদের মোহাম্মদীয় তত্ত্ব\" নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে যাই হোক, চার্লস ডারউইন মুসলিম বিজ্ঞানী আল-জাহিজের চিন্তাধারা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন কিনা কিম্বা তিনি আরবি বুঝতেন কিনা তার পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ নেই। ডারউইন দেখেছিলেন গ্যালাপাগোস দ্বীপে ফিঞ্চ পাখির বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন রকমের ঠোট। ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন যেখানে প্রাণীর টিকে থাকার সংগ্রামের কথা বিশদ ও পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিবিসি রেডিওর জন্যে ইসলাম ও বিজ্ঞান নামের একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্রের নির্মাতা বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক এহসান মাসুদ বলেছেন, বিবর্তনবাদের ধারণা তৈরিতে আরো যারা অবদান রেখেছেন তাদেরকে স্মরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিয়েশনিজম তিনি আরো বলেন, দশম শতাব্দীর ইরাকে, যখন বাসরা ও বাগদাদ ইসলামিক সভ্যতা ও শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, তখনও ক্রিয়েশনিজমের ধারণা খুব একটা জোরালো ছিল না। ক্রিয়েশনিজম হচ্ছে এমন এক ধর্মীয় বিশ্বাস যাতে মনে করা হয় \"ঐশ্বরিক কোন ঘটনা থেকে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও প্রাণের সৃষ্টি\" হয়েছিল যা প্রকৃতির বিবর্তনবাদের ধারণার বিরোধী। এহসান মাসুদ ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছেন, \"বিজ্ঞানীরা তখন নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার লক্ষ্যে বাইরে বের হয়ে পড়তেন।\" এই জ্ঞানের অন্বেষণ করতে গিয়েই মুসলিম দার্শনিক আল-জাহিজের মৃত্যু হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে যে ৯২ বছর বয়সী আল-জাহিজ যখন একটি আলমারি থেকে বই নামাতে গিয়েছিলেন তখন আলমারিটি তার গায়ের ওপরে পড়ে গেলে তিনি মারা গিয়েছিলেন।", "doc2": "Britaniyalı alim Charles Darwin-in təkamül nəzəriyyəsi müasir elmin məhək daşlarından biridir. Növlərin təbii seçmə adlanan mexanizm vasitəsilə illər ərzində dəyişməsi fikri dünyada bir inqilaba səbəb olmuşdu. 1859-cu ildə nəşr olunan Növlərin Əmələ Gəlməsi kitabında Darwin təkamülü \"modifikasiya vasitəsilə törəmə\" kimi təsvir edərək, müxtəlif növlərin eyni əcdaddan yarandığını irəli sürüb. Amma sən demə, təkamül nəzəriyyəsinin də əcdadı var imiş. Həm də İslam dünyasında. Təbii seçmə Charles Darwin-dən təxminən 1000 il əvvəl İraqda yaşayan əl-Cahiz adlı müsəlman mütəfəkkiri heyvanların təbii seçmə adlanan proses nəticəsində necə dəyişdiyi haqqında kitab yazıb. Əsl adı Əbu Osman Əmr Bəhr Əlkənani əl-Bəsri olan bu filosof, daha çox gözləri hədəqəsindən çıxan mənasına gələn əl-Cahid təxəllüsü ilə tanınır. Heç yaxşı xitab olmasa da, əl-Cahizin şöhrəti onun Kitab əl-Heyevan (Heyvanlar Kitabı) adlı seminal əsərindən qaynaqlanır. O, 776-cı ildə İraqın cənubunda yerləşən Bəsrə şəhərində doğulub. Həmin dövrdə regionda insan zəkasının inkişafı ideyasını təbliğ edən ilahiyyat məktəbi - Mütəziləh hərəkatı geniş yayılmağa başlamışdı. Bu, Abbasilər hakimiyyətinin pik dövrü idi. Fəlsəfi əsərlər yunan dilindən ərəb dilinə tərcümə olunur və Bəsrədə din, elm və fəlsəfə üzrə qızğın müzakirələr aparılırdı. Bütün bunlar əl-Cahizin düşüncələri və ideyalarının formalaşmasına təsir edir və kömək olur. Artıq kağız çinli tacirlər tərəfindən İraqa gətirilir və beləliklə ideyaların daha geniş yayılması üçün şərait yaranır və gənc əl-Cahiz müxtəlif mövzular haqqında yazmağa başlayır. Onun maraqlarına elm, coğrafiya, fəlsəfə, ərəb qrammatikası və ədəbiyyatı kimi bir çox akademik mövzular daxil idi. Əl-Cahizin həyatı boyu 200 kitab qələmə aldığı düşünülür, lakin onların çox az hissəsi dövrümüzə qədər gəlib çatıb. Heyvanlar Kitabı Onun ən məşhur işi olan Heyvanlar Kitabı, 350 heyvan barəsində söz açan bir ensiklopediyadır ki, burada əl-Cahiz Darvinin təkamül nəzəriyyəsinə son dərəcə oxşar fikirlər irəli sürüb. \"Heyvanlar sağ qalmaq üçün və mənbələr tapmaq, qurban olmaqdan can qurtarmaq və çoxalmaq uğrunda mübarizə aparırlar,\" əl-Cahiz yazır. \"Ekoloji faktorlar orqanizmlərin sağ qalmaq üçün yeni xüsusiyyətlər yaratmasına təsir edir və beləliklə, onları yeni növlərə çevirir.\" O davam edir: \"Sağ qalan heyvanlar isə uğurlu xarakteristikalarını balalarına ötürürlər.\" Aydındır ki, əl-Cahiz canlılar aləmini sağ qalmaq naminə daimi mübarizədə və bir növün həmişə digərindən daha güclü olmasında görürdü. Sağ qalmaq xətrinə heyvanlar qida tapmaq, qurbana çevrilməmək və artmaq üçün rəqabət xüsusiyyətlərinə yiyələnməli idilər. Bu isə onları nəsildən-nəslə dəyişməyə vadar edib. Əl-Cahizin ideyaları özündən sonra gələn başqa müsəlman mütəfəkkirlərinə təsirsiz ötüşməyib. Onun işləri əl-Fərabi, əl-Ərəbi, əl-Biruni və İbn Xaldun tərəfindən yüksək qiymətləndirilib. Əlləma İqbal təxəllüsü ilə məşhur olan Pakistanın \"Mənəvi Atası\" Məhəmməd İqbal 1930-cu ildə çap etdirdiyi mühazirələr toplusunda əl-Cahizin əhəmiyyətini belə vurğulayır: \"Köç etmə və ekoloji dəyişiklər səbəbindən heyvanların həyatında baş verən dəyişiklikləri ilk dərk edən əl-Cahiz olub.\" \"Məhəmmədi nəzəriyyəsi\" 19-cu əsrin avropalı intellektualları müsəlman aləminin təkamül ideyasına töhfəsindən yaxşı xəbərdar idilər. Charles Darwin-in müasiri William Draper 1878-ci ildə \"Təkamülün Məhəmmədi nəzəriyyəsindən\" söz açırdı. Lakin Darwin-in əl-Cahizin işin ilə tanışlığı və ya ərəbcə anlayışı haqqında heç bir dəlil yoxdur. Bu britaniyalı təbiətşünas illərlə səyahət edib və canlılar aləmini yaxından izləyib. Nəticədə, bizim dünya haqqında düşüncə tərzimizin əsasını təşkil edən nəzəriyyənin son dərəcə ətraflı və aydın şəkildə əsasını qoyub. Şübhəsiz ki, Darwin alim kimi qazandığı ad-sana layiqdir. Lakin BBC radiosunda İslam və Elm adlı sənədli verilişin yaradıcısı olan elmi jurnalist Ehsan Məsud deyir ki, təkamül fikrinin tarixinə töhfələr verən başqa insanları da unutmamaq lazımdır. Kreativizm O həm də qeyd edir ki, İslam sivilizasiyasının qabaqcıl təhsil mərkəzləri kimi Bağdad və Bəsrənin aparıcı mövqe tutduğu 9-cu əsr İraqında kreativizm o qədər də mühüm hərəkat olmayıb. \"Alimlər yeni kəşflər ilə təbii dünya barəsindəki biliklərin müqayisəsinə vaxt sərf etməyiblər,\" Britaniya qəzeti The Guardian-a əl-Cahiz haqqında yazdığı məqaləsində Ehsan Məsud deyir. \"Əvəzində onlar hər şeyi özləri aşkarlamağa çalışıblar.\" Əl-Cahizin ölümü də elm axtarışı nəticəsində olub. Deyilənlərə görə, bu müsəlman filosofun həyatına 92 yaşında bir kitabı götürmək istəyən zaman aşan rəf son qoyub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45058743", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45075571", "doc1": "পৃথিবীর সব দেশেই যৌনতা কি একই রকম? কিন্তু সবচেয়ে সার্বজনীন হলেও, এ নিয়ে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে গড়ে উঠেছে আলাদা আলাদা রীতি - যা কারো কাছে স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যের চোখে রীতিমত আজব । সারা জীবন যৌনমিলন থেকে দূরে থাকা, কিংবা বগলে আপেল নিয়ে ঘোরা - এরকম অসংখ্য বিচিত্র রীতিকে একসাথে করা কঠিন কাজ - তবে বিবিসি সেই চেষ্টাই করেছে। নিচে পড়ুন তারই কয়েকটি। হাওয়াইয়ের আদিবাসীরা তাদের যৌনাঙ্গের আলাদা নাম রাখে ঐতিহ্যগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা তাদের গোপন অঙ্গের উপাসনা করে এবং আলাদা একটা 'আদুরে নাম' দিয়ে থাকে। কিন্তু সেখানেই তারা থেমে থাকে নি। আদিবাসীদের রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ লোক পর্যন্ত অনেকেরই থাকতো 'মেলে মা'ই' অর্থাৎ নিজস্ব একটা মন্ত্র - যা রচিত বেশ কাব্যিক ভাষায়। হাওয়াইয়ের আদিবাসীরা নিজেদের যৌনাঙ্গের আলাদা নাম দেন এসব মন্ত্রে বেশ খোলামেলা কাব্যিক ভাষায় বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হতো তাদের গোপন অঙ্গের। হাওয়াইয়ানদের যৌন আচরণের একজন বিশেষজ্ঞ ড. মিল্টন ডায়মন্ড। বিবিসির কাছে তিনি বর্ণনা করেন তাদের রানি লিলি'উওকুলানি-র মন্ত্র। 'উত্তেজিত' নামের এই মন্ত্রে রানি তার যৌনাঙ্গের 'ওঠানামার' বর্ণনা দিয়েছেন। জাপানিদের যৌনমিলনের পরিমাণ আগের চাইতে কমে গেছে জাপানে এখন জন্মহার ক্রমাগত কমছে। তার সঙ্গে সঙ্গে কমছে কনডম ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার, গর্ভপাতের সংখ্যা, এবং যৌন রোগের প্রকোপ। \"এসবে ব্যাখ্যা একটাই, আর তা হলো জাপানের লোকেরা আগের চাইতে কম সেক্স করছে\" - বলছিলেন দেশটির পরিবার পরিকল্পনা সমিতির প্রধান কুনিও কিতামুরা। ঘনিষ্ঠ, কিন্তু খুব বেশি নয় - জাপানের লোকদের মধ্যে যৌনমিলনের পরিমাণ কমে গেছে সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়, জাপানের বহু দম্পতি যৌনসম্পর্কবিহীন বিবাহিত জীবন যাপন করছেন। এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ বলেছেন, তারা এত ক্লান্ত থাকেন যে এসব করতে ইচ্ছে করে না। এক-চতুর্থাংশ জাপানি নারী বলেছেন, সেক্স তাদের কাছে একটা সমস্যা বলে মনে হয়। আরেক জরিপে দেখা গেছে - জাপানে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়স্কদের মধ্যে কুমার-কুমারীর সংখ্যা গত এক দশকে ানেক বেড়ে গেছে। প্রায় ৪৫ শতাংশই বলেছেন তারা কখনো যৌনমিলন করেন নি। দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা বাচ্চা চান না দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের গড়ে ১.০৫টি সন্তান হয় । কিন্তু দেশটির জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতেএ সংখ্যা ২ এর ওপর হওয়া দরকার। কিন্তু দেশটিতে বাড়ির উচ্চ মুল্য, সন্তান পালনের ব্যয়বাহুল্য, এবং দীর্ঘ কর্মঘন্টার কারণে চাকরিজীবী নারীরা সন্তান নিতে চান না। দক্ষিণ কোরিয়ান মেয়েদের কাছে সন্তানের মা হওয়াটা কোন অগ্রাধিকার নয় বাচ্চা নেবার জন্য সরকার তাদের উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছেন। কিন্তু তবুও সেখানে জন্মহার বাড়ছে না। রাশিয়ায় গর্ভসঞ্চার দিবস বলে একটা দিনই আছে রাশিয়ার একটি অঞ্চলে ক্রমাগত কমতে থাকার জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য এক অভিনব উপায় বের করেছে কর্তৃপক্ষ। মস্কোর পূর্বদিকে উলিয়ানভস্ক-এর গভর্নর ১ই সেপ্টেম্বরকে গর্ভসঞ্চার দিবস ঘোষণা করেছেন। বলা দেয়া হয়েছে, সেদিন দম্পতিরা বাড়িতে থাকবে শুধু সন্তান উৎপাদনের জন্য। রাশিয়ায় আছে সন্তান উৎপাদনের বিশেষ দিন সেই দিনটি থেকে নয় মাসের মাথায় যে দম্পতির সন্তান হবে, তাদের উপহার দেয়া হয়। এর মধ্যে থাকে ভিডিও ক্যামেরা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি নানা কিছু। ব্রাজিলের মেহিনাকু গ্রামে পুরুষরা নারীদের আকৃষ্ট করেন মাছ দিয়ে মধ্য ব্রাজিলে মেহিনাকু গ্রামে নারীরা তাদের প্রণয়প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নেবার এক সহজ পন্থা বের করেছেন। একজন নারীর প্রেমপ্রার্থী যদি একাধিক হয়, তাহলে পুরুষদের সেই নারীকে উপহার দিতে হয় একটি মাছ। যার মাছ সবচেয়ে বড়, তিনিই জিতে নেবেন সেই নারীকে। পাণিপ্রার্থী হতে হলে মাছ উপহার দিন অস্ট্রিয়ায় গ্রামাঞ্চলে প্রেমপ্রার্থী পুরুষকে দেয়া হয় 'বগলের গন্ধওয়ালা' আপেল গ্রামীণ অস্ট্রিয়াতে মেয়েদের একটা ঐতিহ্যবাহী নাচ আছে । যেখানে মেয়েরা নাচেন তাদের বগলে আপেলের টুকরো নিয়ে । অস্ট্রিয়াতে মেয়েদের একটা ঐতিহ্যবাহী নাচ আছে যেখানে তারা বগলে আপেলের টুকরো নিয়ে নাচেন। সেই নারী হয়তো নাচের সময় সেখানে উপস্থিত কোন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হলেন। তখন তিনি সেই ঘামে-ভেজা আপেলের টুকরো বাড়িয়ে দেবেন তার দিকে। যদি পুরুষটিরও সেই নারীকে ভালো লেগে থাকে, তাহলে তাকে সেই আপেল থেকে এক কামড় খেতে হবে । সেটার স্বাদ কেমন হবে সহজেই অনুমেয়। নাচের সময় ফেলে দিয়ে পুরুষ-বিজয় নাচের সময় পুরুষকে ফেলে দিতে পারলে নারী বিজয়ী হন নাচতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেলে আপনার সুনাম বাড়বে না। কিন্তু অন্তত একটি দেশে এজন্য বরং আপনার পুরস্কার মিলে যেতে পারে। দেশটি হলো কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার গুয়াজিরো উপজাতির এক ধরণের বিশেষ উৎসব নৃত্য আছে, যেখানে একজন নারী যদি নাচের সময় এজন পুরুষকে উল্টে ফেলে দিতে পারেন - তাহলে তাদের অবশ্যই যৌনমিলন করতে হবে। ডেনিশরা বেশিরভাগ সন্তান নেন ছুটি কাটানোর সময় ডেনিশরা সন্তান নেন ছুটির সময় ডেনিশরা ছুটির সময় অন্য দেশের লোকদের চাইতে ৪৬ শতাংশ বেশি পরিমাণে যৌনসম্পর্ক করে থাকেন। একটি ভ্রমণ কোম্পানি স্পাইজ ট্রাভেল এক জরিপের পর এ কথা বলেছে। শুধু তাই নয় । ডেনিশ শিশুদের ১০ শতাংশের ক্ষেত্রেই তাদের মায়েদের গর্ভসঞ্চার হয় তখনই - যখন তারা বাড়ির বাইরে কোথাও যান। সবচেয়ে বেশি 'যৌন-সক্রিয়' হলেন গ্রীকরা কনডম প্রস্তুতকারক ড্যুরেক্সের এক বৈশ্বিক জরিপে বলা হয়, গ্রীসের লোকেরাই সবচেয়ে বেশি বার যৌনমিলন করে থাকেন। পৃথিবীর ২৬টি দেশের ১৬ বছরের বেশি বয়স্ক ৩০ হাজার লোকের ওপর ওই জরিপ চালানো হয়। গ্রীক পেমের দেবতা ইরোস তাতে দেখা যায়, গ্রীসের লোকেরা গড়ে প্রতি বছর ১৬৪ বার যৌনমিলন করেন। এর কারণ কি সেদেশের আবহাওয়া, নাকি পানির গুণ, তা জানা যায় নি। তবে সবচেয়ে বেশি 'যৌন-সক্রিয়' হবার জন্যে কেউ তাদের দোষারোপ করছেন না।", "doc2": "Bu, hər yerdə eyni cürdür? Amma bu, ölkədən ölkəyə fərqlənir. Bu mövzuya diqqət yetirən BBC-nin Crossing Continents (Qitədən Qitəyə) verilişi araşdırmasını təqdim edir: 1. Yerli havaylılar cinsi orqanlarına adlar qoşur Mən sənə adımı deyərəm. sən mənə adını desən Ənənəvi olaraq havaylılar cinsi orqanlarına nəvazişli adlar qoyublar. Amma söhbət bununla bitmir. Zadəganlar və sadə insanların hər birinin cinsi orqanlar üçün mele ma'i adlanan cinsi nəğmələri də olub. Bu lirik qəzəllər açıq və bəzən detallı şəkildə şəxsin cinsi orqanını təsvir edərmiş. Havayda cinsi davranışlar üzrə mütəxəssis Dr. Milton Diamond, Kraliça Lili'uokulani-nin \"Şən\" adlı nəğməsində onun orqanlarının \"yuxarı-aşağı yelləndikcə çiçəklənən\" kimi təsvir olunduğunu söyləyir. 2. Yaponlar sekslə daha az məşğul olur Yaxın, amma elə də yaxın yox Yaponiya doğuş sayının aşağı düşdüyü başqa bir ölkədir. Bununla yanaşı, qoruyucu vasitələrdən və dərmanlardan istifadə, abort və cinsi yolla keçən xəstəliklərin sayı da azalır. \"Bunun bir izahı var, o da yaponların daha az cinsi əlaqədə olmasıdır,\" Yaponiyanın ailə planlaması dərnəyinin rəhbəri Kunio Kitamura deyir. Bu yaxınlarda təqdim olunan hesabatda sekssiz evliliklərin sayı rekord həddə olub. Belə ki, kişilərin üçdə biri seksdən yorulduğunu, qadınların üçdə biri isə seksi zəhmətli bir fəaliyyət kimi dəyərləndiklərini dilə gətiriblər. 18 və 34 yaşlılar arasında aparılan başqa bir sorğuda, ötən onillik ərzində bakir/ə qalanların sayının kəskin şəkildə artdığı ortaya çıxıb: az qala 45% iştirakçı heç vaxt cinsi əlaqədə olmadığını deyib. 3. Cənubi koreyalı qadınlar uşağa yox deyir Cənubi Koreyada bir çox qadınlar üçün ana və ya evdar qadın olmaq prioritet sayılmır Orta hesabla hər bir Cənubi koreyalı qadın dünyaya 1.05 uşaq gətirməlidir. Lakin əhali sayını sabit saxlamaq üçün qadın başına düşən doğuş dərəcəsi 2.1-dir. Bu isə hazırkı göstəricinin ikiqatıdır. Uşaq problemini həll etmək üçün aparılan kampaniyaya hökumət ötən onillik ərzində on milyardlar dollarlar dəyərində yatırım edib, fəqət yenə də doğuş səviyyəsi aşağı enir. Ola bilsin buna səbəb artan ev qiymətləri və ya uşaqlara qayğının bahalı olmasıdır, amma çox güman ki, problem ölkənin stratosferik iş saatlarındadır. Uşağa daha çox baxan tərəf ana olduğuna görə övlad sahibi olmaq karyeranı qurban vermək və ya iki ştatlı işləmək deməkdir və buna görə də qadınlar uşağa yox deyirlər. 4. Rusiyada Hamilə Qalma Günü var Əldən buraxmayın Rusiyanın bir regionu azalan əhali sayını artırmaq məqsədilə belə bir dahi yola əl atıb. Moskvanın şərqində yerləşən Ulyanovskun qubernatoru sentyabrın 12-ni rəsmi olaraq Hamilə Qalma Günü elan edib. Həmin gün rəsmi iş günü sayılmır və məqsədli şəkildə gənclərin evdə qalıb uşaq yaratması üçün təyin edilib. Həmin gündən sonraki doqquzuncu ayda uşağı doğulan cütlüklərə video kameralar, soyuducular və paltaryuyan maşınlar kimi hədiyyələr edilir. 5. Braziliyanın Mehinaku kəndində kişilər qadınları balıqla cəlb edir Sözünü de... balıqla Braziliyanın mərkəzində yerləşən Mehinaku adlı kiçik bir kənddə qadınlar özlərinə uyğun yar seçmək üçün münasib bir yol tapıblar. Bir qızın sevgisi üçün yarışan kişilər, ona balıq hədiyyə etməlidirlər. Və balığı böyük olan kişi qızın qəlbini qazanır. 6. Avstriyalı qadınlar aşiqlərinə qol altının qoxusunu verən alma təklif edirlər Sizin ürəyinizdən hansı zəhər keçir? Avstriyanın ucqarlarında qadınlar ənənəvi olaraq qolları altında alma dilimləri ilə oynamaq tələb olunan rəqsə qoşulurlar. Sonra isə bir otaqda seçdiyi kişiyə həmin tərli dilimi təqdim edirlər. Əgər hisslər qarşılıqlıdırsa kişi meyvədən bir diş götürməlidir. 7. Kolumbiyada Guajiro tayfasının qadınları kişiləri ayaqlarına ilişərək seçir Özünü gözlə. Və ya gözləmə. Bu icmada rəqs edərkən təhərsiz olmaq işə yarayır. Kolumbiyanın Guajiro tayfasının qadınları və kişiləri xüsusi mərasim rəqsində iştirak edirlər və əgər bir qadın kişinin ayağına ilişərək onu yıxa bilirsə, bundan sonra onlar cinsi əlaqədə olmalıdırlar. Bu, kiməsə vurulmaq cümləsinə əlavə bir məna verir. 8. Danimarkalılar uşağı çox vaxt tətildə edirlər Danimarkada yay sevimli mövsümdür. Səyahət şirkəti Spies Travel tərəfindən aparılan bir araşdırmaya görə, danimarkalıların 46 faizi tətildə daha çox sekslə məşğul olur. Və danimarkalı körpələrin 10 faizi tətildə yaşanan cinsi əlaqə əsnasında ana bətninə düşür. Mükafat kimi şirkət 2014-cü ildə körpəsinin tətildə yarandığını sübut edənləri uşağa lazım olan əşyalar və ailə tətili ilə təmin etmək təklifi irəli sürmüşdü. 9. Sekslə ən çox yunanlar məşğul olur Eros, qədim yunanların məhəbbət tanrısı. Kondom istehsalçısı Durex-in 26 ölkə üzrə 16 yaşdan yuxarı 30 mindən çox insan arasında apardığı qlobal sorğuya əsasən, bu işin ölkəsi Yunanıstandır. Sorğu əsnasında müəyyənləşib ki, Yunanıstanda hər il orta hesabla bir nəfər 164 dəfə sekslə məşğul olur. Bəlkə bu havasından asılıdır, bəlkə də suyundan asılıdır, amma heç kim onları qınaya bilməz. Burada irs də rol oynayır. Antik dövrdə yunanlar seksual baxımdan tolerant, açıq və təcrübələrə meylli olmaları ilə məşhur imişlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39511986", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39513999", "doc1": "বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে ধূমপান কমিয়ে আনায় কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি, গবেষণার তথ্য। চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেট-এর প্রতিবেদন বলা হচ্ছে, কোনও কোনও দেশ উচ্চ কর আরোপ, সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা এবং প্রচার কাজের মাধ্যমে সিগারেটে আসক্তি কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি। নারী ধূমপায়ীদের সংখ্যাও কম নয়। ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুসারে প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন নারী সিগারেটে আসক্ত। সিনিয়র গবেষক ডক্টর ইমানুয়েলা গাকিডোও বলেছেন \" বিশ্বে প্রতি চারজনে একজন ধূমপান করছে। অকালে মৃত্যুর প্রধান একটি কারণ ধূমপান। সেইসাথে প্রতিবন্ধীত্বেরও কারণ এটি\"। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বহু দশক ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চালানোর পরও ধূমপায়ীদের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। গবেষকরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেহেতু সিগারেট বা তামাক কোম্পানিগুলো যেহেতু নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করছে, সে কারণে নৈতিক প্রচার বাড়ানো দরকার। আরও পড়ুন: বিয়ে বাঁচাতে অচেনা লোকের সাথে রাতযাপন রাখাইনে মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে: সুচি র‍্যাব নিয়ে স্পর্শকাতর গোপন রেকর্ডিং যাচাই হচ্ছে", "doc2": "İndoneziyada siqaret çəkənlərin sayı hələ ki, azalmayıb Siqaret çəkmək nəticəsində ölüm hallarının yarısı Çin, Hindistan, ABŞ və Rusiyanın payına düşür. Siqaret çəkməyə qarşı onilliklər boyu keçirilən kampaniyalardan asılı olmayaraq, əhali artımı siqaret çəkənlərin ümumi sayının artımına səbəb olub. Araşdırma The Lancet tibbi dərgisində dərc edilib. \"Əlimizdə 50 ildən artıqdır ki, siqaret çəkməyin sağlamlığa zərərini sübut edən dəlillərin olmasına baxmayaraq hazırda dünyada dörd kişidən biri hər gün siqarət çəkir\", baş təhqiqatçı doktor Emmanuela Gakidou deyib. Xəstəliklərin Qlobal Möhnəti adlı hesabat 1990-cı və 2015-ci illər arasında 195 ölkədə siqaretin çəkilməsi barədə toplanan məlumat üzərində hazırlanıb. Hesabatda 2015-ci ildə dünyada bir milyard insanın hər gün siqaret çəkdiyi deyilir. Onlardan dörddə biri kişi, 20-də biri isə qadındır. Yüksək vergilər 1990-cı ildə üçdə bir kişi və 12-də bir qadının siqaret çəkdiyi göstərilib. Yeni hesabat bu rəqəmin aşağı düşdüyünü göstərir. 1990-cı ildə 870 milyon siqaret çəkən olub. Lakin əhali artımı nəticəsində onların sayı 2015-ci ildə 1 milyarda çatıb. Eyni dövrdə siqaret çəkmək nəticəsində ölənlərin sayı 4,7 faiz artaraq 2015-ci ildə 6,4 milyona çatıb. Hesabat yüksək vergilər, paketlər üzərində xəbərdarlıq və maarifləndirmə proqramlarının uğurlu olduğunu göstərir. Hesabatın 25 illik dövründə Braziliyada siqaret çəkənlərin sayı kişilər arasında 29 faizdən 12 faizə, qadınlar arasında isə 19 faizdən 8 faizə enib. Eyni dövrdə Bangladeş, İndoneziya və Filippində dəyişiklik müşahidə edilməyib, lakin Rusiyada qadınlar arasında siqaret çəkənlərin sayı 4 faiz artıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40507389", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40506445", "doc1": "২০১৪ সালে এক ভিডিওতে আবু বকর আল বাগদাদীকে মসুলের এক মসজিদে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। ইরাকের মসুল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। আইএস সেইসময় অনেক বড় বড় অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই এই জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে তারা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে। কিন্তু আবু বকর আল-বাগদাদী নামে আইএস এর ওই নেতা, যার সন্ধান পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে-সেই ব্যক্তির এখন কোথায় বা কী করছে বা তার সঙ্গে কিছু ঘটেছে কিনা সে বিষয়টি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। আবু বকর আল-বাগদাদীর শেষবারের মতো প্রকাশ্যে আসার তিন বছর পার হয়েছে, কিন্তু গত কয়েক বছরে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের কথিত খেলাফতের একটা বিরাট অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। রুশ এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের দ্বিমুখী আক্রমণের মুখে তারা এখন বেশি চাপের মধ্যে আছে। ২০১৪ সালের ওই ভিডিওর পরে আল-বাগদাদীর কোনো কথা শোনা যায়নি। তবে গত বছর নভেম্বর মাসে যখন ইরাকি সেনাবাহিনী মসুল পুনর্দখলের লড়াই শুরু করে তখন আল-বাগদাদীর একটা অডিও বার্তা প্রকাশ করে আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয় আবু বকর আল-বাগদাদী অজ্ঞাত স্থান থেকে তাঁর অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন লড়াইয়ে পিছু না হটে। আর এরই মধ্যে এই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই দাবিও করা হয় যে আইএস প্রধান আল-বাগদাদী হয়তো রাকায় চালানো রুশ বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গত ২৮ শে মে রাকায় ইসলামিক স্টেটের এক কথিত গোপন সভাস্থল লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনশো ত্রিশ জনের মতো ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা নিহত হয়। এদের মধ্যে হয়তো আবু বকর আল বাগদাদীও ছিল এবং সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আল বাগদাদীর মৃত্যু নিয়ে এরকম জল্পনা ওটাই প্রথম ছিলনা। এর আগেও কয়েকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল। তবে রাশিয়ার দিক থেকে আল-বাগদাদীর মৃত্যুর দাবি ওটাই ছিল প্রথম। এর আগে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবার এরকম খবর বেরিয়েছিল যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলায় বিমান হামলা বাগদাদী নিহত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা তখন জানিয়েছিলেন, বাগদাদী নিহত হয়েছেন কিনা সেটা তারা নিশ্চিত করতে পারছেন না। এমনকি গত সপ্তাহে ইরানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত আল-বাগদাদী নিহত হয়েছেন। এর এই দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবরটি তালেবান ও আল-কায়েদা প্রায় দুই বছর পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিল। আইএস এর কোনঠাসা পরিস্থিতিতে তাদের নেতা বাগদাদীর উপস্থিতি গোষ্ঠীটির অনুসারী ও বিরোধী বা শত্রু দুইপক্ষকেই ভাবিয়ে তুলেছে। এক বিস্ফোরণে ইরাকের আল-নুরি মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যায় আবু বকর আল বাগদাদী কে? আবু বকর আল বাগদাদীর আসল পরিচয় কী তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আল বাগদাদী তার আসল নাম নয় বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৯৭১ সালে বাগদাদের উত্তরে সামারা এলাকায় আল বাগদাদীর জন্ম। ২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চলে, তখন আল বাগদাদী বাগদাদের কোন একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে দাবি করা হয় কোন কোন রিপোর্টে। অনেকের বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আল বাগদাদী জঙ্গি জিহাদীতে পরিণত হয়েছিল। তবে অন্য অনেকের ধারণা, যখন তাকে দক্ষিণ ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ক্যাম্পে চার বছর আটকে রাখা হয়েছিল তখনই আসলে আল বাগদাদী জঙ্গীবাদে দীক্ষা নেয়। এই ক্যাম্পে অনেক আল কায়েদা কমান্ডারকে বন্দী রাখা হয়েছিল। আল বাগদাদী পরে ইরাকে আল কায়েদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়। পরে অবশ্য ইরাকের আল কায়েদা নিজেদেরকে ২০১০ সালে 'ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড লেভান্ট' বলে ঘোষণা করে। ২০১১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র আল বাগদাদীকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করে। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আরো পড়ুন: শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো ২৭টি গোখরা সাপ মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প বিয়ে রুখতে নিজের হাত কাটলেন নবম শ্রেণীর বিথী 'সৌদি আরব উগ্র ইসলামী মতবাদ ছড়াচ্ছে ' ২০১৪ সালে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল বাগদাদীর এই ছবি প্রকাশ করে।", "doc2": "Bağdadi 2014-cü ildə Mosuldakı çıxışından sonra ictimaiyyət arasında görülməyib O vaxt İD, Birləşmiş Krallıq böyüklükdə bir ərazini idarə edirdi - lakin, cihadçılara qarşı elan olunan qlobal müharibədən sonra, onların sayı azalmaqla yanaşı, başına 25 milyon ABŞ dolları qoyulan Bağdadi də sirrə qeyb olub. Bağdadinin ilk - və son - ictimai çıxışının üçüncü ildönümündə artıq İD əvvəlki qədər böyük ərazini idarə etmir. Qruplaşma keçən ilin noyabrında Mosulu boşlatmağa başladığı zaman səsyazma ilə etdiyi müraciət, liderin ardıcıllarına son müraciəti olub. Qərq olduğu sükut Bağdadinin ölümü ilə bağlı şayiələrə səbəb olub. Rusiyanın Xarici İşlər nazirinin müavini bildirib ki, \"çox güman\" Bağdadi Rusiyanın hava qüvvələri tərəfindən mayın 28-i Rəqqaya edilən hücum nəticəsinə həlak olub. Eyni zamanda keçən həftə iranlı bir rəsmi onun \"dəqiq öldüyünü\" söyləyib. Fəqət, amerikalı rəsmilər hər iki iddiaya şübhə ilə yanaşırlar. Rusiya tərəfindən yayılan məlumatdan bir həftə sonra Rəqqada lentə alınan bir videoda İD üzvləri Bağdadinin adını qeyd etmədən \"bizim şeyximiz\" deyə müraciət ediblər. Bu da onun taleyi ilə bağlı böyük bir sual işarəsi yaradır. Taliban və əl-Qaidə Taliban lideri Molla Ömərin ölümünü iki il gizlədə bilmişdi. Belə bir çətin anda Bağdadinin yoxluğu həm onun tərəfdarları, həm də düşmənləri üçün çaşqınlıq yaradır. Həmçinin oxuyun: \"Üçüncü paytaxt\" Bağdadinin harada olması ilə bağlı sualın cavabı ola bilsin ki, onun xəlifəlik və ya \"sadiqlərin komandiri\" üçün legitimliyində yatır. Mübahisəli dini qaydaya əsasən, namizəd yalnız \"ərd təmkin\" və ya \"torpaq sahibi\" olarsa titula iddialı sayıla bilər. Artıq ərd təmkin kiçilir. İD-n Mosulda gücü artıq tükənib və Rəqqada isə böyük təzyiq altındadır. Bu şəhərlər qruplaşmanın İraq və Suriyadakı de fakto paytaxtlarıdır. (Bunun İraqda təsdiqi olaraq iki həftə əvvəl təhlükəsizlik qüvvələri ərazini ələ keçirməmişdən öncə İD, əl-Nuri məscidini partladıb.) Bağdadi ola bilsin ki, qruplaşmanın əlindəki Suriya və İraq sərhədinin hər iki tərəfində İD-n \"üçüncü paytaxtı\" kimi təsvir edilən yerdə gizlənir. İD bu və ətraf əraziləri Vilayət əl-Fərat adlandırır. İraqın Ənbər vilayətindən yaydıqları videolarda qruplaşma bildirir ki, hərbçilər ərazidən İraq və Suriyaya atəş açmaq üçün istifadə edirmişlər. Ola bilsin ki, Bağdadi sağdakı şəkildəki binaya edilən hava hücumu nəticəsində həlak olub, Rusiya deyir. Cənubda yerləşən Rutbə kimi şəhərlər azad edilsə də, İD-n hücumları səngimir. Pənahı səhrada axtarmaq Bu ucqar qəsəbələri azad etmək üçün hələ ki, heç bir hərbi əməliyyat aparılmayıb. Washington-da Suriyadakı ərazilərin ABŞ və ya Suriya və müttəfiqləri tərəfindən azad edilməsi ilə bağlı müzakirələr davam edir. Əgər əməliyyata ABŞ başlasa, mübarizəyə kimin başçılıq edəcəyi qeyri-müəyyəndir: üsyançılar yoxsa kürdlərin idarə etdiyi Suriya Demokratik Qüvvələri (SDQ). Mosulun qərbində yerləşən Tal Əfər kimi İraq şəhərlərində görünür ki, hazırda hakimiyyət yönlü qüvvələrə daha çox üstünlük verilir. İraq hakimiyyətinin müşaviri və İraq cihadçı qruplaşmaları üzrə ekspert Hişam əl-Həşimi təxmin edir ki, əl-Bağdadi Vilayət əl-Fəratda gizlənib. İraq hakimiyyəti ötən iki il ərzində Əlbu Kamala bir neçə hava zərbəsi endirib. Cənab Həşimiyə görə, əl-Bağdadinin ən yaxın silahdaşlarından biri olan İyad əl-Cəmili şəhərdə görülüb. Suriyanın Deir əl-Zour vilayətində yerləşən İD-n digər əsas qəsəbəsi Məyadində və Əlbu Kamalda İD liderinin başqa yaxın silahdaşları da görülüb, cənab Həşimi deyir. Vilayət əl-Fərat, İD-n ərd təmkin adlandıra biləcəyi yeganə ərazidir. Ərazini təmizləmək əməliyyatının başlanması aylar və tamamlanması isə daha uzun çəkə bilər. Hətta bu ərazilər azad edilsə belə, İD çox güman ki, gizlənmək və yaşayış məskənlərinə qarşı hücum təşkil etmək üçün səhra, çay yataqları və sərhəd ərazilərdən istifadə edəcək. Ən çox axtarılan Bağdadi başqa cihadçı liderlərdən fərqli olaraq, çıxışı və ya iştirakına ən çox ehtiyac olan zaman üzə çıxmağa üstünlük verir. Xəlifənin elanı və tərəfdarlarını Mosulda qalıb döyüşməyə səslədiyi zamandakı kimi. İD komandirliyinə gedən zəncir uzun olduqca başçılarla əlaqə yalnız ən etibarlı tərəfdarlara qismət olur. Bağdadinin harada olduğunu heç şübhəsiz çox az adam bilir. Bu isə dünyanın ən çox axtarılan insanın izində daha maraqlı olan ABŞ-n xüsusi təyinatlı qüvvələrinin işini çətinləşdirir. Suriya və İraqın sərhədi Bağdadini daha təhlükəsiz bir yerlə təmin edir. Belə olduqda o, gizlənərək ələ keçməsi və öldürülməsi ilə bağlı cəhdlərin qarşısını ala bilir. Bu üstünlük ona sadiqlərin komandiri legitimliyini əldə saxlamağa da imkan verir. Həssən Həssən Washington-da yerləşən Tahrir Institute for Middle East Policy institutunun baş alimlərdən biri və \"İŞİD: Terror Ordusunun İçində\" adlı kitabın müəllifidir. Onu Twitter-də tapa bilərsiniz: @hxhassan"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48289943", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49654512", "doc1": "অনেকে মনে করেন কান্না পুরুষালী বিষয় নয়। নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা অথবা কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রবণতা সম্ভবত তাদের কম। এক্ষেত্রে জেনে নেয়া জরুরি যে পাঁচটি বিষয় নিয়ে পুরুষদের কথা বলা দরকার। নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলুন বিবিসি নিজে ওয়েলকাম কালেকশন নামে একটি সংস্থার সাথে নিঃসঙ্গতা নিয়ে জরিপ চালিয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি নিঃসঙ্গতা অনুভব করে। খুব দীর্ঘ সময়ের নিঃসঙ্গতা একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। আরও পড়তে পারেন: এতো বেশি অযোগ্য পুরুষ নেতৃত্বে আসে কীভাবে? 'অটিজমে আক্রান্ত প্রতি ১৭ জনে ১জন মাত্র নারী' 'চাকরি করা হয়নি, পরিবারের চাপে বিয়ে করতে হয়' পুরুষদের জন্য নিঃসঙ্গতা থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল। গবেষণায় দেখা গেছে সহজে নিরাময় হয়না শরীরে এমন রোগের জন্ম দেয় নিঃসঙ্গতা। তা মানুষের মধ্যে বেপরোয়া আচরণের জন্ম দেয়। একাকীত্বের সাথে স্মৃতিভ্রংশ জনিত রোগেরও সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে বিশেষ করে পুরুষদের জন্য এই নিঃসঙ্গতা থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল। এই গবেষণার প্রধান রবিন ডানবার বলছেন, যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বিশাল ফারাক তারা দেখতে পেয়েছেন। পুরুষরা নিজেদের একাকীত্ব স্বীকারও করেন না। ২০১৭-১৮ সালে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, 'একা বোধ করি না' এই কথাটিই বরং পুরুষরা মেয়েদের তুলনায় বেশি বলেন। পুরুষরা অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ করেন না। কান্না ও পুরুষালী ধারণা সমাজের প্রচলিত একটি কথাই রয়েছে যে 'ছেলেদের কাঁদতে নেই'। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ-এর ২০১৮ সালের এক হিসেব অনুযায়ী দেশটির ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষদের ৫৫ শতাংশ মনে করেন কান্না পুরুষের আচরণের সাথে যায় না বা কান্না পুরুষালী বিষয় নয়। আত্মহনন প্রবণতায় ভোগে এমন মানুষদের সহায়তা করে অস্ট্রেলিয়ান দাতব্য প্রতিষ্ঠান লাইফলাইন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক কোলম্যান ওড্রিসকল বলছেন, \"আমরা খুব ছোটবেলা থেকে ছেলেদের এমনভাবে তৈরি করি যেন তাদের আবেগ প্রকাশ করতে নেই। সমাজ সেভাবেই ছেলেদের বড় করে তোলে। তাদের ধারনা দেয়া হয় যে আবেগ প্রকাশ করা দুর্বলতার লক্ষণ।\" অথচ বহু গবেষণায় দেখা গেছে নিজের মন হালকা করার জন্য কান্না খুব কাজে আসে। দিন রাত খাটেন অলুমাইড ডরুযাইয়ে। পরিবারের জীবিকার প্রধান দায়িত্ব পুরুষের জন্য বড় চাপ যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে ৪২ শতাংশ পুরুষরা মনে করে তাদের নারী সঙ্গীদের তুলনায় তাদের আয় বেশি হওয়া উচিৎ। সেরকম একজন নাইজেরিয়ান ফুটবলার অলুমাইড ডরুযাইয়ে। তিনি বলছেন, \"আমি দেখেছি আমার বাবা ছিলেন পরিবারের প্রধান রুটির যোগানদাতা। দিনরাত খাটতেন। আমিও সেরকমই হয়েছি। যেকোনভাবেই হোক আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হয়েছে কারণ আমাকে সেই পুরুষের ভূমিকাটি নিতে হয়েছে।\" পরিবারের সবার রুটির যোগান দেয়া পুরুষের দায়িত্ব এই ধারনার কারণে পুরুষরা অনেকেই বাড়তি চাপের মধ্যে থাকেন। পুরুষদের জন্য এই দায়িত্ব বাড়তি বোঝা বলে মনে করা হয়। অর্থনৈতিক বোঝা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। বেকারত্বের সাথে আত্মহত্যার সম্পর্ক রয়েছে বলে ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মানুষকে অসুখী করে তোলে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও বাস্তবতা গবেষকরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্ভবত খুব গভীর প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা যত বেশি সময় কাটাই তাতে আমরা আরও বেশি নি:সংগ ও বিষণ্ণ হয়ে পরি। এই গবেষণার লেখক মেলিসা হান্ট বলছেন, \"সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার কমিয়ে দিলে সাধারণত বিষণ্ণতা ও নিঃসঙ্গতার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।\" কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন কি আছে যা আসলে ক্ষতিকর? মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক অস্কার ইয়াবারা বলছেন, \"সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যা দেখা যায় তা খুব কম ক্ষেত্রেই বাস্তব জীবনের প্রতিফলন। আপনি এতে ঢুকে যা দেখছেন তা সচরাচর খুবই বাছাই করা বিষয়াদি। কিন্তু মানুষ তবুও নিজের জীবনের সাথে তার তুলনা করে।\" জশ ডেনজেল বলছেন নিজের শরীর নিয়ে তিনি হীনমন্যতায় ভোগেন। নিজের শরীর সম্পর্কে ধারণা যুক্তরাজ্যে গত বছর লাভ আইল্যান্ড নামে টেলিভিশনে একটি রিয়ালিটি শোতে অংশ নিয়ে কিছুটা খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এমন একজন জশ ডেনজেল। তিনি বলছেন, এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার আগে তিনি সারাদিন জিমে কাটাতেন। তারপরও আয়নায় নিজের দিকে তাকাতেন এবং নিজের শরীর নিয়ে সংকোচ বোধ করতেন। তিনি বলছেন, \"এখনো সৈকতে হয়ত আমার পাশ দিয়ে দারুণ সিক্স প্যাক শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যাচ্ছে, আমি তখন নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেকেই খুব হীন পুরুষ মনে হয়েছে।\" তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি দারুণ ফিগার নিয়ে এখন অনেকেই খুব চিন্তা করেন। তাই স্থূল হয়ে যাওয়া বা শরীরের কোন খুঁতের সাথেও মানসিক স্বাস্থ্যের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই সকল বিষয় নিয়ে পুরুষদের খোলাখুলি আলাপ করাকেই এখন উৎসাহিত করা হচ্ছে। নিজের আবেগকে দুরে ঠেলে না দিয়ে, বোতল বন্দি করে না রেখে তার সংস্পর্শে এলেই বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হয়- সেই বার্তা দেয়া হচ্ছে পুরুষদের।", "doc2": "İntihar hadisələri çox vaxt tənhalıq, insanın özünü cəmiyyətdən təcrid olunmuş hiss etməsinin nəticəsi olur. Odur ki, intihar barədə fikirlərin dağıdılmasında insanlar bir-birinə kömək edə bilərlər. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının (ÜST) məlumatlarına görə, hər il təxminən 800,000 insan intihar səbəbindən həyatını itirir və 15-29 yaşda olanların ölüm səbəbləri arasında yol qəzalarından sonra intihar ikinci yerdədir. ÜST hesab edir ki, bu məsələ barədə kifayət qədər danışılmayıb. İntihar hadisələri qurbanların uşaqları, valideynləri, həyat yoldaşları, dostları və ya həmkarlarını təsirləndirir. Keçən il ABŞ-da dərc edilmiş bir araşdırmaya əsasən, hər bir intihar hadisəsi orta hesabla 135 nəfərədək insana təsir göstərə bilər. Kentucky Universitetinin doktoru Julie Cerel isə aşkar edib ki, intihar edənlə qohumluq dərəcəsindən asılı olmayaraq, insan özünü intihar edənə nə qədər yaxın hiss edibsə, intihar hadisəsinin psixoloji təsiri ona o qədər də güclü olub. Ancaq bu mövzuda danışmaq insanlar üçün bəzən çətin olur. Hər il sentyabrın 10-da Ümumdünya İntiharın Qarşısının Alınması Günü qeyd olunur, odur ki, intihar haqqında düşünənlə danışmağın ən uyğun yollarına nəzər salmaq yerinə düşər. Danışmağa başlayın ÜST hesab edir ki, gənclərə həyatdakı çətinliklərlə mübarizədə kömək etmək vacibdir. İntihar hissləri barədə danışmağın doğru və ya yanlış yolu olmur - ən vacibi bu söhbətə başlamaqdır, Rethink UK təşkilatının sözçüsü Emma Carrington BBC-yə deyib. \"İlk növbədə bu söhbətin çətin bir söhbət olduğunu anlamalıyıq. Bu cür söhbətlər hər gün edilmir. Odur ki, sizin həyəcan keçirəcəyiniz normal bir haldır!.\" \"Sizin söhbətiniz vəziyyəti pisləşdirə bilməz, çünki vəziyyət bundan daha pis ola bilməz. Ən vacibi olan mühakimə etmədən qarşı tərəfi dinləməkdir.\" İntihar haqqında düşünənlə necə söhbət etməli: Risk altına düşən kimdir? Dünyada intihar hallarının statistikası xüsusilə kişilər arasında daha yüksəskdir. 2016-cı ildə kişilər arasında intihar əmsalı hər 100000 nəfərə 13,5, qadınlar arasında isə hər 100000 nəfərə 7,7 təşkil edib. Lakin hər bir ölkə daxilində kişi/qadın nisbəti nəzərəçarpan dərəcədə dəyişə bilər. Dünyada kişilər arasında ən yüksək intihar əmsalı Rusiyadadır - 2016-cı ildə hər 100000 nəfərə 48 intihar halı olub, bu, qadınlar arasındakı göstəricidən altı dəfə çoxdur. İntihar və psixi pozğunluqlar arasında əlaqə (xüsusilə, depressiya və alkoqol asılılığı) kifayət qədər yaxşı müəyyən edilib. Lakin bir çox intihar halları böhranlı anlarda - insan həyatın gərginliyi, maddi problemlər, şəxsi münasibətlərin qırılması və ya xroniki ağrı və xəstəliklərə dözə bilməyəndə baş verir Əhalinin həssas qrupları arasında daha yüksəkdir. Həmin qruplara qaçqın və miqrantlar, aborigen icmalar, LGBT-lər, məhbuslar kimi diskriminasiyaya məruz qalan həssas qruplar aiddir. ÜST-ə görə, əlavə risklərə eləcə də münaqişə, fəlakət, zorakılıq, təhqir və ya itki və təcrid hissi aiddir. Həmsöhbətinizin dedikləriylə hətta razı olmayanda belə, ona danışmaq imkanı vermək və onu dinləmək lazımdır ki, onun üçün nəyin stress yaratdığını bilmək mümkün olsun. \"Bəziləri hətta insanlar tərəfindən əhatə olunanda da özlərini tənha hiss edə bilər. İnsanlar iqtisadi cəhətdən çətinlik çəkə bilər. Bütün bunlar kiminsə üzərinə yığılıb toplana bilər\", - Rethink UK-dən Emma Carrington deyir. \"Ətrafdakılardan dəstək olamayanadək, insan üçün bu yük çox ağır ola bilər\". Cəmiyyət nə edə bilər? ÜST hesab edir ki, intiharların qarşısını almaq üçün hökumətlər çox şey edə bilər: Miflərin dağıdılması Psixi sağlamlıq təşkilatları ortaq bir mif dediklərini dağıtmağa çalışırlar: insanlara intihar haqqında danışmaq səhv fikirləri ağıllarına qoyacaqdır. Ancaq Avstraliyanın keçmiş baş naziri Julia Gillard-ın başçılıq etdiyi \"Kədər xaricində\" təşkilatının bildirdiyinə görə, intihar haqqında danışmaq intihar düşüncəsi olan insanlarda bəzi ümidləri bərpa edə bilər. Həssas sosial qruplarda intihar riski daha yüksək olur. QHT-nin tapşırığı ilə 3000 avstraliyalı ilə aparılan bir araşdırmaya görə, soruşulanların təxminən 30 faizi intihar haqqında danışaraq kiməsə səhv fikir verməkdən çəkindiyini bildirib. Bundan əlavə, iştirakçıların yarıdan çoxu hesab edib ki, intihar düşüncəsi olan birinə kömək etmək peşəkar bacarıq tələb edir. Mühakimə etməyin \"Riskdə olan birinə dəstək vermək üçün peşəkar səviyyəsində sağlamlıq mütəxəssisi olmağa ehtiyac yoxdur. Sadəcə, söhbət etməyə hazırlaşan bir insan olmalığınız kifayət edər\", - Gillard deyib. Carrington isə qeyd edir ki, peşəkar yardım yalnız dərman və müalicə üçün yararlı vasitə olduğu halda, intihar barədə açıq söhbətin aparılması sizin mühakimə etmək niyyətində olmadığınızı göstərə bilər. Bu da, öz növbəsində, qarşı tərəfə qısa müddətə də olsa özünü təhlükəsiz hiss etməsinə kömək edə bilər. \"Onlar deyə bilər ki, yox, mən bu barədə heç düşünmürdüm də - və bu, söhbətin sonu demək olacaq. Lakin həqiqətən də depressiya keçirən əksəriyyət üçün bu fikir onların haradasa, beynin bir küncündə yaşayacaq\". \"Bu gün\" barədə danışın \"Kiminsə barəsində narahatsınızsa, davamlı olaraq ondan bu gün özünü necə hiss etməsiylə maraqlanın. \"Bu gün\" kəlməsindən istifadə etməniz söhbətinizi asanlaşdıra bilər, çünki həddən artıq duyğulanmış şəxs üçün \"bu günlə\" bağlı sual çətin bir sual kimi görünməz.\" \"Çox vaxt intihar mövzusunda kiminsə açıq danışması üçün dəfələrlə söhbət etmək lazım gəlir. Söhbət zamanı qarşı tərəflə elə bir etimad ünsiyyəti qurulmalıdır ki, həmin adam sizin mühakimə etmək niyyətinizin olmadığına inana bilsin\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53020847", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52899831", "doc1": "মিনেসোটার সেন্ট পল থেকে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি সরিয়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্টু জুড়ে, বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঐ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বাদেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে - যেখানে সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্ণবাদসহ সব ধরণের বৈষম্যের অবসানের দাবি তুলেছে মানুষ। আর গত কয়েকদিন ধরে এই বিক্ষোভে নতুন এক অনুষঙ্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আর তা হলো বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় অনেক ঐতিহাসিক নেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে কিংবা উপড়ে ফেলছে। ব্রিটেনের 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' বিক্ষোভকারীরা ব্রিস্টল শহরে এডওয়ার্ড কলস্টোনের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলে। আর খোদ আমেরিকায় ভাঙ্গা হয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ভাস্কর্য। দাবি তোলা হয়েছে যে কনফেডারেট জেনারেলদের নামে যেসব সেনানিবাস রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করতে হবে। বস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলা হয় বিশ ডলারের নোট চলমান বিক্ষোভ দুনিয়াকে কতটা পাল্টাবে তা হয়তো আরও পরে বোঝা যাবে, তবে যে ঘটনার কারণে এই বিক্ষোভের শুরু, সেটির সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ২০ ডলারের একটি নোট। জর্জ ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি ২০ ডলারের একটি জাল নোট দিয়ে একটি দোকান থেকে সিগারেট কেনার চেষ্টা করছিলেন। কর্তৃপক্ষ দোকানদার ও জর্জ ফ্লয়েডের কথোপকথনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় জর্জ ফ্লয়েড যে নোটটি দিয়েছিলেন, দোকানের কর্মচারী সেটিকে জাল হিসেবে সন্দেহ করার পর ফ্লয়েডের কাছে বিক্রি করা সিগারেট ফেরত চান। পুলিশের কাছে দোকানদারের করা ফোনের ভিত্তিতে তৈরি করা সেই অনুলিপিটিতে বলা হয় যে দোকানদার সন্দেহ করেছিল যে ঐ ব্যক্তি 'মাতাল' এবং 'নিয়ন্ত্রণহীন' অবস্থায় রয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোকানটির মালিক মাইক আবুমায়ালেহ জানান, জর্জ ফ্লয়েড তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের ছিলেন এবং কখনোই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে মাইক আবুমায়ালেহ বলেন যে ঘটনার দিন তিনি দোকানে থাকলে পুলিশকে ফোন করার প্রয়োজনই হতো না এবং জর্জ ফ্লয়েডও হয়তো বেঁচে থাকতেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঐ দোকানে যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেন, দোকানের এক কিশোর কর্মচারী সেদিন পুলিশকে ফোন করেছিল, কারণ জাল নোট সন্দেহ হলে পুলিশকে ফোন করাই নিয়ম। ঐ প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলেন, পরে ফ্লয়েডের পরিণতি দেখে ঐ কর্মচারী 'আত্মগ্লানি'তে ভুগছিলেন। কালো মানুষ পণ্য ব্রিস্টল শহরের এডওয়ার্ড কলস্টন ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন দাস ব্যবসায়ী। ১৬৭২ থেকে ১৬৮৯ পর্যন্ত এডওয়ার্ড কলস্টনের জাহাজে করে প্রায় ৮০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে আমেরিকায় ক্রীতদাস হিসেবে পাঠানো হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ব্রিস্টল শহরের বিকাশ ও সমৃদ্ধির ইতিহাসের সঙ্গে দাস ব্যবসা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই কয়েক শতাব্দী ধরে ব্রিস্টলে কলস্টনের স্মৃতিকে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে ব্রিস্টলের অনেক মানুষ আবার অনেক দিন ধরেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলস্টনের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার পর অনেকে দাবি তুলছেন, ব্রিটেনে নানা জায়গায় বর্ণবাদ ও দাস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের যেসব ভাস্কর্য আছে - সেগুলোও অপসারণ করতে হবে। ঐ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও একইভাবে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবাদকারীরা। বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তির মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ওপরও সম্প্রতি চাপ এসেছে গৃহযুদ্ধের সময়কার কয়েকজন কনফেডারেট নেতার নামানুসারে দেয়া সেনাঘাঁটির নাম পরিবর্তন করার। `কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে আমি আতঙ্কিত` কেন মূর্তি ভাঙছে বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে যে বর্ণবাদ, দাসপ্রথা বা দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মূর্তি প্রকাশ্যে রাখা চলবে না। যদি ইতিহাসের প্রয়োজনে সেগুলোকে রাখতেই হয়, তবে সেগুলোকে যাদুঘরে স্থানান্তরিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে গত কয়েকদিনে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে আমেরিকায় এসে স্থানীয়দের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ কলম্বাসের স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অনেক স্কুলে কলম্বাসের জীবনীতে তাকে 'নতুন পৃথিবীর আবিষ্কারক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু আমেরিকার আদি অধিবাসীরা বহু বছর ধরেই এই চলের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, কলম্বাসের অভিযানই আমেরিকার ঔপনিবেশিক শাসনের এবং আদি আমেরিকান অধিবাসীদের গণহত্যার পেছনের কারণ। মিনেসোটা ও ভার্জিনিয়া রাজ্য এবং বস্টন ও মিয়ামি শহরে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বুধবার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কনফেডারেট প্রেসিডেন্ট জেফারসন ডেভিসের একটি মূর্তি উৎপাটন করে বিক্ষোভকারীরা। ব্রিস্টলে কলস্টনের মূর্তি নামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি রাজ্য ছিল যাদের পরিচিতি ছিল কনফেডারেট রাজ্য হিসেবে, যারা একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র গঠন করার দাবি জানিয়েছিল। পরে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেটদের পরাজয় হয়। কনফেডারেট রাজ্যগুলো দাস প্রথার সমর্থক ছিল এবং দাস প্রথাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষে ছিল তারা। আর এই কারণেই কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি অপসারণের দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের মতে, বর্ণবৈষম্য ও বর্ণবিদ্বেষহীন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্ণবাদকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা করা নেতাদের মহিমান্বিত করা বন্ধ করতে হবে। আর বিভিন্ন জায়গায় তাদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার মাধ্যমেই শুরু করতে হবে সেই কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহর এবং সংগঠন কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি এবং কনফেডারেট মতবাদ প্রকাশ করে এমন প্রতীক সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত থাকায় এসব প্রতীক অপসারষণের দাবি করা হয়ে আসছিল অনেকদিন ধরেই।", "doc2": "Biz ABŞ-dakı cinayət və ədliyyə sisteminə dair bəzi məlumatlara və bu məlumatların necə bir təcrübədən xəbər verdiyinə nəzər saldıq. 1. Afroamerikalıların güllə ilə vurulma ehtimalı daha yüksəkdir Polis tərəfindən atəş açma və ölümlə nəticələnən insidentlərə aid rəqəmlər göstərir ki, əhalinin ümumi sayı ilə müqayisədə afroamerikalıların ölümcül xəsarət alma ehtimalı daha yüksəkdir. 2019-cu ildə afroamerikalılar əhalinin 14 faizdən azını (rəsmi siyahıyaalma rəqəmlərinə görə) təşkil etsələr də, polisin 1000-dən artıq ölümcül atəş açma hadisəsinin 23 faizindən çoxu onların payına düşüb. Bu rəqəm 2017-ci ildən başlayaraq nisbətən sabit qalır, halbuki o vaxtdan bəri atışmada ölən ağ amerikalıların sayı azalıb. 2. Afroamerikalılar narkotikdən sui-istifadəyə görə daha çox həbs edilirlər Əslində, araşdırmaların hər iki qrupda narkotikdən istifadənin təxminən eyni səviyyədə olduğunu göstərməsinə baxmayaraq, 2019-cü ildə narkotik istifadəsinə görə həbs edilən afroamerikalıların sayı həmin ittihama görə saxlanılmış ağların sayını üstələyir. 2018-ci ildə hər 100 min afroamerikalıdan təxminən 750-si narkotik istifadəsinə görə həbs olunub, ağlar arasında belə həbslərin sayı 350-yə bərabərdir. Narkotiklərin istifadəsi ilə bağlı əvvəlki araşdırmalar göstərir ki, ağ amerikalılar narkotikləri təqribən eyni səviyyədə istifadə etsələr də, afroamerikalılar arasında həbslərin sayı daha yüksəkdir. Məsələn, Amerika Vətəndaş Azadlıqları Birliyi tərəfindən hazırlanan tədqiqata əsasən, marixuananın istifadəsinə görə qaradərili vətəndaşın həbs ehtimalı ağlarla müqayisədə 3,7 dəfə artıqdır. Hərçənd ki, istehlak səviyyəsi təxminən eynidir. 3. Afroamerikalılar daha çox məhkum olunur Ən son məlumata görə, afroamerikalılar ağ amerikalılardan beş dəfə artıq məhkum olunur. İspandilli amerikalılarla müqayisədə isə, onlar iki dəfə artıq həbsə atılır. 2018-ci ildə afroamerikalılar ABŞ əhalisinin təxminən 13 faizini təşkil edib, bu arada məhbusların üçdə biri qaradərililərlə təmsil olunur. ABŞ sakinlərinin 60 faizdən çoxu ağlardan ibarət olsa da, onlar məhkumların təqribən 30 faizini təşkil edir. Hər 100.000 afroamerikalının payına düşən məhbusların sayı 1 faizə yaxındır, ağlarda bu nisbət 0,2 faiz təşkil edir. Son 10 ildə həbsxanalarda afroamerikalı məhbusların sayı azalmaqdadır, lakin digər irqlərlə müqayisədə onlar hələ də üstünlük təşkil edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56797313", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-56807077", "doc1": "নতুন এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে তো বটেই বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থান ইউয়েফা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা পর্যন্ত চরম নিন্দা জানাচ্ছেন। বাকী ছয়টি ক্লাব হচ্ছে: রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, এসি মিলান ও আতলেটিকো মাদ্রিদ। এই ক্লাবগুলো যে নতুন প্রতিযোগিতার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে সেটি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আয়োজিত হবে। ইএসএল- ইউরোপিয়ান সুপার লিগ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা চালু করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে এবং আরো তিনটি ক্লাব যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরুষ ও নারী দুই বিভাগেই ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরাসরি এই নতুন পরিকল্পনার সমালোচনা করে নিজের টুইটার পাতায় লিখেছেন, এটা ফুটবলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মি. জনসন লেখেন, \"ঘরোয়া লিগের মূলে আঘাত করবে এটা। ভক্তদের শঙ্কায় ফেলবে। এই ক্লাবগুলোর উচিৎ ভক্তদের ও ফুটবল কমিউনিটির কাছে জবাবদিহি করা।\" ফুটবল নিয়ে আরো পড়ুন: লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের সবচাইতে সফল দুটি দল। কী আছে এই সুপার লিগে? এই লিগে থাকবে ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব নাম দিতে যাচ্ছে এখানে। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলবে ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে। প্রতি বছরই অগাস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হবে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হবে। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ক্লাবগুলো। সুপার লিগের ক্লাবগুলো কী বলছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সফলতম দল রেয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ দাবি করছেন, ইএসএল সব স্তরের ফুটবলের জন্যই ভালো। তিনি বলেন, \"চার বিলিয়ন ভক্ত ফুটবলের, এটাই একমাত্র বৈশ্বিক খেলা। আমাদের দায়িত্ব ভক্তদের মনের আশা পূরণ করা।\" নতুন এই লিগের পরিকল্পনায় যুক্ত আছে জুভেন্টাস এবং এসি মিলান জুভেন্টাসের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আনেলি ইউয়েফার নির্বাহী কমিটি এবং ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, \"একটা সংকটের সময় ১২টি ক্লাব একসাথে হয়েছে। ইউরোপের ফুটবল বদলে দিতে দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে আমাদের।\" ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কো-চেয়ারম্যান জোয়েল গ্ল্যাজার বলেন, \"বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এবং খেলেয়াড়রা একসাথে হয়ে মৌসুমজুড়ে খেলবে। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এটি একটি নতুন অধ্যায়। যেখানে বিশ্বমানের খেলা, সুযোগ সুবিধা ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে, যার সুফল ফুটবল পিরামিডের সবাই ভোগ করবে।\" নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবগুলো ইউয়েফা কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পকে 'জঘন্য' আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে যাতে এটি বাস্তবায়ন না হয়। ইউয়েফার সাথে এক বিবৃতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ, রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন, লা লিগা, ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং লেগা সিরি আ। যেখানে বলা হয়েছে, যখন বিশ্বে সবার ফুটবলের স্বার্থে এক হওয়াটা প্রয়োজন তখন কিছু ক্লাব নিজেদের স্বার্থে এমন একটি প্রজেক্ট ভাবলো যা জঘন্য। ফিফা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছয়টি মহাদেশের ফুটবল সংস্থা, অর্থাৎ কনফেডারেশনগুলো এই সুপার লিগের সাথে জড়িত সবগুলো ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া ফুটবল, ইউরোপিয়ান ফুটবল ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বলব থাকবে। এমনকি কোনো ফুটবলার যদি এই সুপার লিগে খেলে তাকে জাতীয় দল থেকেও বাদ দেয়া হতে পারে। \"বিশ্বকাপ খেলতে নাও দেয়া হতে পারে সুপার লিগে খেলা ফুটবলারকে,\"- ফিফা, ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেসব ক্লাব এই প্রস্তাবে একমত হয়নি ইউয়েফা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশেষত ফরাসী ও জার্মান ক্লাবগুলোকে। ইউয়েফার স্টেটমেন্টের শেষ লাইন ছিল, \"যথেষ্ট হয়েছে।\" বরিস জনসন বলেছেন ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর হবে সুপার লিগ ঠেকাতে যা যা হচ্ছে সুপার লিগের আয়োজনের খবরের সাথে সাথে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। বিবিসি স্পোর্টের ধারণা পাচ্ছে যে, এই বৈঠকে সুপার লিগের সাথে যেসব ক্লাবের নাম এসেছে তারা কেউই কোনো সাড়া দেয়নি। ডাচ ক্লাব আয়াক্সের প্রধান নির্বাহী এডউইন ফন ডার সার এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন, বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর মতো ক্লাবগুলোও উপস্থিত ছিল। ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এই সুপার লিগ মডেলের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। বরং এটা ঠেকাতে ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের কথা আছে। সোমবার পরের দিকে এ বিষয়ে আরো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হওয়ার কথা ২০২৪ সাল থেকেই। ইউয়েফা এই সুপার লিগ ঠেকাতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছে। কেন সুপার লিগ নিয়ে এত আপত্তি? প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি বড় ক্লাব এই সুপার লিগের অংশ, সেই প্রিমিয়ার লিগ বলছে এই সুপার লিগ যে কোনো ভক্তের কাছে স্বপ্নভঙ্গের মতো। যে প্রক্রিয়ায় একটি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে এবং সেরা ক্লাবগুলোর সাথে খেলে সেই প্রক্রিয়া এবং কাঠামোই ভেঙ্গে দেবে এই সুপার লিগ। বুন্দেসলিগা অর্থাৎ জার্মান লিগে কোনো ক্লাব চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কারণ জার্মান ফুটবল মডেল অনুযায়ী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ক্লাবের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভক্তদের ভোটের প্রয়োজন হয় জার্মানিতে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল এই পরিকল্পনার ওপর 'পুরোপুরি বীতশ্রদ্ধ'। আমি চল্লিশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্ত এবং আমি এটা নিয়ে প্রচন্ড নাখোশ। নেভিল এই ক্লাবগুলোর মালিকদের 'বেইমান' বলে অভিহিত করে বলেন, \"এটা কেবলই লোভ।\" এই সুপার লিগ ক্লাবগুলোর যে সমর্থকগোষ্ঠী তারাও সুপার লিগের বিপক্ষেই মত দিয়েছেন। লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেন্যাম- সবগুলো ক্লাবের ভক্তরাই অসমর্থন জানিয়েছে এই পরিকল্পনার। 'ঘোরতর বেইমানি' বলছেন তারা।", "doc2": "Arsenal və Liverpool klubları Avropa Super Liqasınə təsis edən klublar arasındadır Elə adından da bəlli olur ki, Super Liqa layihəsinə qoşulan klublar öz ölkələrinin aparıcı klublarıdır, odur ki, bu addımın Avropanın oturuşmuş futbol həyatına nəcə təsir edəcəyini indidən demək hətta təcrübəli ekspertlər üçün də çətindir. İngiltərədən Super Liqaya qoşulan klublar göz qamaşdırır: Manchester United, Liverpool, Arsenal, Chelsea, Tottenham Hotspur və Manchester City. İspaniyadan Superliqada 3 klub olacaq: Atletico Madrid, Barcelona, Real Madrid, Italiyadan isə AC Milan, Inter Milan və Juventus. UEFA prezidenti Aleksander Ceferin Avropa Super Liqasının (ESL) yaradılması planını \"rüsvayçı, öz maraqlarına xidmət edən\" bir plan adlandırıb və \"futbol sevənlərin üzünə tüpürmək\" olduğunu söyləyib. O, eyni zamanda qapalı liqada iştirak edən komandalarda oynayan oyunçuların \"Dünya Kuboku və Avropa yarışlarından kənarlaşdırılacağını\" da vəd edib. Futbol fanatı olmaq sizi xoşbəxt, yoxsa qəmgin edir? Niyə yaradılır? Tənqidçilər tərəfindən ''acgözlülükdə'' və ''pulgirlikdə'' ittiham olunan Super Liqa iştirakçıları olan klublar ESL-in futbola bütövlükdə fayda gətirəcəyini söyləyirlər. Super Liqanın yaradılmasına imza atan klublar yeni həftə içi bir yarışmada iştirak etmək və milli liqalarda çıxışlarını davam etdirmək istəyirlər. Bu layihənin Avropa futbolu üçün 1950-ci illərdən sonra ən böyük inqilab olduğu deyilir. Ekspertlər Superliqa layihəsinin Çempionlar Liqasını məhv edə biləcəyindən ehtiyat edirlər. Bu gün UEFA rəhbərliyi Çempionlar Liqası iştirakçılarının sayının genişləndiriləcəyini elan etməli idi. Nə baş verib? İngiltərənin \"Böyük altılıq\" deyilən futbol klubları çevrəsinə daxil olan klublar Avropanın digər 6 klubu ilə (İspaniyadan -3 və İtaliyadan 3 klub) sövdəşəşərək ayrıca bir liqa - Super Liqa yaratmaq qərara alıblar. Bu layihənin ideya müəllifi və ilkin təşəbbüskarı isə İspaniyanın Barcelona və Real Madrid klubları olub. Nəzərdə tutulduğuna görə, yeni layihə çərçivəsində ilk 15 kluba ümumilikdə £3.1 milyard mükafat fondu təklif olunacaq. Yeri gəlmişkən, UEFA-nın hazırda bütün Avropa futbol yarışlarında iştirak edən komandalar üçün ayırdığı mükafat fondu və televiziya yayım kontraktlarının məbləği ümumilikdə £3 milyard təşkil edir. Necə oldu ki, bu cür plan yarandı? İllər ərzində futbol nəhəngləri arasında gizli danışıqlar gedib, məqsəd böyük klublar üçün mükafat fondunun daha iri həcmli edilməsi olub. Bu danışıqlar keçən ilin payızından başlayaraq sürətlənib. Yeni sxemə görə, Super Liqada iştrak edən nəhənglərin potensial mükafat fondunun hər klub üçün təxminən £89 - £310 milyon civarında olacağı güman edilir. Super Liqa layihəsinə Almaniyanın Bayern Munich və Borussia Dortmund və Fransanın Paris St Germain klublarının da qoşulacağı barədə söz-söhbətlər dolaşsa da, hələlik buna dair rəsmi məlumat yoxdur. Niyə məhz indi? Bu layihənin məqsədi, çox güman ki, Çempionlar Liqasının islahatlarını qabaqlamaq məqsədi güdüb. Həmin islahatların 2024-ildən başlayaraq rəsmi sürətdə qüvvəyə minəcəyi planlaşdırılıb. UEFA-nın təklif etdiyi islahatlar hazırkı duruma nisbətən bundan sonra Avropanın aparıcı klublarının payına düşəcək mükafat fondunun artırılacağını vəd edir, lakin misal üçün, Manchester United-in vitse-prezidenti Ed Woodward-un və İtaliyanın AC Milan klubunun başçısı Ivan Gazidis-in Avropa Futbol Klubları Assosiasiyasının təklif etdiyi islahat planı ilə bağlı müəyyən sualları qalmaqdadır . Buna baxmayaraq, UEFA rəhbərliyi ümidlidir ki, 2024-cü ildə qüvvəyə minəcək bu islahat, sepatçılıq meyli göstərən klubların ayrılmaq həvəsini soyuda bilər. Lakin geniş futbol aləmi klublarının əksəriyyəti bu plana razılıq versələr də, separatçı futbol nəhənglərinin media və sponsorluq hüquqları ilə bağlı iddiaları UEFA tərəfindən hələ təmin olunmamış qalmaqdadır. UEFA-nın planına əsasən, nəzarət paketinin 51 faizi idarəedici qurumda qalır, qalanı isə Avropa Klublar Assosiasiyasına keçir. Danışıqlara yaxın mənbələr Britaniyanın Telegraph nəşrinə danışıqların final mərhələsinin hələ davam etdiyini bildiriblər, odur ki, bəzi ehtimallara görə, Super Liqanın yaradılması planları barədə xəbərlər danışıqlar taktikasının bir növü də ola bilər. Super Liqa nə vaxt başlayacaq? Bazar günü axşam saatlarında yayılmış bəyanata əsasən, Super Liqa birinciliyinin \"mümkün qədər tez başlanması nəzərdə tutulur.\" Super Liqa təsisçiləri bu layihəni avqust ayında işə salmağı nəzərdə tuturlar, lakin hər yeni layihənin startı zamanı olduğu kimi hələlik müəyyən təşkilatçılıq xarakterli problemlər, o cümlədən, Super Liqa startının istənilən kimi alınması üçün UEFA və FIFA ilə bağlı problemlər həll olunmalıdır. Yeni birincilikdə yarışlar necə qurulacaq? Superliqada 20 klubun iştirak edəcəyi nəzərdə tutulur. Onlardan 15-i Liqanın daimi üzvləri olacaq, 5 komanda isə Liqada iştirak etmək üçün hər il seçmə mərhələsi yolu ilə yarış aparmalıdır. Bu format hərəsi 10 klubdan ibarət iki qrupda seçim oyunlarının keçirilməsini nəzərdə tutur. Hər qrupda birinci dörd yeri tutmuş komanda növbəti mərhələyə keçir və həmin komandalar arasında hazırkı Çempionlar Liqasına bənzər bir formatda yarış aparılır. Super Liqanın daimi, təsisçi hüquqlu 15 klubu üçün əsas üstünlük, göstərdikləri nəticədən asılı olmayaraq, hər il Liqada oynamaq hüququna malik olmaqdır. Çempionlar Liqasında isə hətta islahatlar nəzərə alınmaqla, həmin klubların final mərhələdən kənarda qalmaq ehtimalı var. Təklif olunan Avropa Super Liqası futbol qrandları üçün bu riski aradan qaldırmış olur. Çempionlar Liqasında islahatlar bundan sonra aparılacaqmı? Bazar ertəsi UEFA rəhbərliyi 2024-cu ildə qüvvəyə minəcək islahat planını rəsmən təsdiq etməlidir. Lakin ola bilsin ki, son anda futbol nəhənglərini razı salacaq əlavə təkliflər də nəzərdən keçirilsin. Hələlik, mövcud olan islahat planına əsasən, Çempionlar liqasında iştirakçıların sayının 32-dən 36-ya qaldırılması nəzərdə tutulur və müvafiq olaraq komandalar arasında keçiriləcək görüşlərin sayı bu halda 125-dən 225-ə qalxmalıdır. Bu dəyişiklər, təsdiqlənəcəyi halda 2024/25-ci il futbol mövsümündə qüvvəyə minməlidir. UEFA prezidenti Aleksander Ceferin Mümkün nəticələr UEFA və FIFA Super Liqa klublarını milli, Avropa və dünya turnirlərindən kənarlaşdıracaqlarını vəd edirlər. Həmçinin, rəsmilər oyunçuların milli komandalarında oynamaq imkanını itirəcəklərini söyləyirlər. Ancaq idman analitiklərinə görə, bu təhdidlərin yerinə yetirilməsi çox çətin olacaq və cəhdlər daha şox gərginliyə səbəb ola bilər. Məsələn, futbol tarixinin ən yaxşı hücumçularından biri olan Kriştiano Ronaldo İtaliyanın \"Yuventus\" klubunda oynayır, lakin Portuqaliya futbol federasiyası onun Portuqaliya millisi tərkibində iştirakından heç vaxt imtina etmək istəməz. Futbol aləmi bu plana necə reaksiya verib? Avropanın aparıcı idman nəşrlərinin çoxu Superliqa planını futbol super zənginlərinin layihəsi, \"zənginlər üçün futbol tamaşası\" kimi səciyyələndirir. Onlar qeyd edirlər ki, bu planın arxasında yüksək gəlirləri olan bir qrup Avropa futbol klublarının futboldan daha çox gəlir əldə etmək məqsədi durur. UEFA prezidenti Alexander Ceferin Super Liqanın 12 təsisçi klubunun bu layihəsi barədə danışarkən həmin klubların rəhbərlərini \"acgözlülük hissini rəhbər tutmaqda\" günahlandırıb. \"Onları acgözlülük idarə edir. Bəlkə də futbolun özü onları maraqlandırmır. Onları oyunun nəticəsi deyil, bank hesablarındakı rəqəmlər, cibləri maraqlandırır,\" - UEFA prezidenti deyib. Azərbaycan: Futbola həvəsi olan uşaqlar hansı sınaqlardan keçir?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47962897", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47960713", "doc1": "ইতিবাচক বৈষম্যও নয় বরং দরকার মেধা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ণ করা এটি 'হোয়াই সো মেনি ইনকমপিটেন্ট মেন বিকাম লিডারস' বইয়ের লেখক ও মনোবিদ ড: টমাস চামোরো পিরেমুজিক এর মন্তব্য। নারীদের জন্য নেতৃত্ব পর্যায়ের পদগুলোতে উঠে আসা কেন কঠিন তা নিয়েও মি: টমাস তাঁর বইয়ে অনেক যুক্তি-তর্ক দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি: সমাজে আমরা পুরুষদের দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্যতাকে দেখতে ভালোবাসি কারণ এর জন্য তাদেরকেই আমরা পুরস্কৃত করতে চাই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যেভাবে শপথ নিয়েছিল ১৯৭১'এর মুজিবনগর সরকার টিকটক অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেয়া হলো বাংলাদেশের পাট নিয়ে ভারত কিভাবে লাভ করছে? অযোগ্যতাই জয়ী হয় কেন ? মি: টমাস বলছেন, রাজনীতি বা ব্যবসায় নেতা পছন্দ করার ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনাযোগ্য দায়িত্বশীলতার মুখোমুখি হই কিন্তু আমরা তাদের নির্বাচন করি -কিন্তু সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠান বা দেশের জন্য ভালো না মন্দ তা যাচাই করা হয় না। \"আমরা সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকে না যা দিয়ে বুঝা যায় যে এসব নেতারা ভালো করবেন কি-না। পরিণামে তাদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা আছে কি-না সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে আমরা স্টাইল বা এমন বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেই\"। তাঁর মতে, \"আমরা যোগ্যতার চেয়ে আত্মবিশ্বাসের ওপর বেশি দৃষ্টি দেই এবং প্রায় সময়েই আমরা জব ইন্টারভিউ বা টেলিভিশন বিতর্কের মতো অল্প সময়ের আলাপচারিতার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।\" দ্বিতীয়ত: বিনয়ের চেয়ে ক্যারিশমা গুরুত্ব পায় বেশি। তৃতীয়ত: নেতাদের আমরা স্বার্থপরের মতো এমনভাবে মানতে শুরু করি যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। একই ভুল বারবার করার কারণ ও ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচন করা। 'সম্ভবত আমরা আসলে সেরা ব্যক্তিকেই চাকুরীতে দেখতে চাই না' বলছেন মনোবিদ মি: টমাস। তাঁর মতে. অনেক সময় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্য ঠিক করে। তাদের মন্তব্য থাকে 'এই ব্যক্তি সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারবে'। \"প্রতিটি সংগঠন বা ব্যবসায় নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের কাজের মূল্যায়ন হওয়া উচিত এভাবে যে তারা অধীনস্থদের বা টিমকে কতটা প্রভাবিত করতে পেরেছেন\"। বলুন তো বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কে প্রমোশন পাবেন? চক্র ভাঙ্গা যায় কিভাবে? কোম্পানি বা ডেমোক্রেসি- অযোগ্য নেতাদের সরানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাতলে দিয়েছেন লেখক ও মনোবিদ ড: টমাস চামোরো পিরেমুজিক। ১. ভোটে হোক আর হায়ার করে আনা হোক, কয়েকটি বিষয় যত্ন সহকারে বিবেচনা করতে হবে। যেমন- যোগ্যতা, দক্ষতা, বিনয়, আত্ম সচেতনতা, সততা ও শেখার ক্ষমতা। ২. ধারণা নয় বরং তথ্য উপাত্তের ওপর নির্ভর করা। ৩. লিঙ্গ বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে লিঙ্গকে নয় বরং মেধাকে গুরুত্ব দেয়া। ভালো নেতা হতে ভালো দক্ষতা অর্জন দরকার নারীরাই কি সমস্যার সমাধান ? \"সমাধান হয়তো নারী নন বরং সমাধান হলো মেধা ও যোগ্যতাকে মূল্যায়নে সিরিয়াস হওয়া\" বলছেন এই মনোবিদ। \"একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিলে সেটি নারীদের জন্য বাধা তৈরি করবে না বরং পুরুষের চেয়ে নারীরাই তখন নেতৃত্বে বেশি উঠে আসবে।\"", "doc2": "\"Nə üçün bacarıqsız kişilərin çoxu lider olur?\" adlı kitabında (\"Why So Many Incompetent Men Become Leaders\") o, qadınların yüksək vəzifələrə yolunu bağlayan əsas səbəbi bu şəkildə ifadə edir: \"Biz cəmiyyət olaraq kişilərin bacarıqsızlığını o qədər çox sevirik ki, buna görə onlara hətta mükafat da veririk\". Nə üçün bacarıqsızlıq qalib gəlir? Siyasətdə və biznesdə lider seçmək bizim üçün məsuliyyət deməkdir. Tomas qeyd edir ki, \"Biz təşkilatımız və hətta ölkəmiz üçün də yaxşı lider ola biləcəyini test etmədiyimiz, dərindən öyrənmədiyimiz adamları lider seçirik\". \"Seçməyə qərar veririk, amma bu liderlərin öz vəzifələrini yaxşı icra edəcəkləri haqqında heç bir məlumatımız olmur. Yəni, liderlik bacarıqlarına yox, stillərinə və sözlərinə diqqət edirik. Etibara həddindən artıq çox, bacarığa həddindən artıq az önəm veririk. Bir qayda olaraq, onların mətbuatdakı müsahibələrinə və ya televiziyalardakı çıxışlarına əsasən qərar veririk\". İkincisi, \"Təvazökarlıq əvəzinə xarizmanı bəyənirik. Bizim üçün birincisinin önəmli olduğunu desək də, nəticə etibarilə cəlbedici və əyləncəli, komik və xarizmatik liderlərə üstünlük veririk. Amma bu şəxslərin məhz kollektiv üçün çalışacaq yaxşı adamlar olduğunu hardan bilirsiniz?\" Tomasa görə, üçüncü və ən narahatedici məqam narsistlik əlamətləri olan liderlərə heyranlığımızdır. \"Bir şəxs ancaq özünə və öz hədəflərinə fokuslanmış olanda, ya da özündən çox razı və hətta xəyalpərvərdirsə, beləsindən uzaq durmaq əvəzinə, \"əla, bu adam liderlik üçün yaranıb\" deyirik\". \"Şəxsi keyfiyyətlər üzərində onillər ərzində və dünya miqyasında aparılan araşdırmalar göstərir ki, bu xüsusiyyətlər qadınlardan çox kişilər arasında yayğındır. Pis liderlərin və kişi liderlərin daha çox olmasının səbəbi budur\", - Tomas belə deyir. Eyni səhvləri təkrarlamağımızın və səhv adamları seçməyimizin səbəbləri Tomas daha bir məqama diqqət çəkir. \"Bəlkə də iş üçün \"ən yaxşı namizəd\" istəmirik. Əlbəttə, nəzəri baxımdan istəmiş olmalıyıq, amma təcrübədə bunun sübutu varmı?\" Onun statistik göstəricilərə əsasən gəldiyi qənaət belədir: \"Şirkət sahibləri və ya insan resursları şöbələri çox zaman qısa müddətli hədəflərə hesablanmış seçimlər edirlər: bu şəxs məni yaxşı göstərər; problemi tez həll edər; təşkilatın dəyişməsinə ehtiyac olmaz, nə desəm, edər və s. kimi. Halbuki hər bir təşkilatda və ya şirkətdə lider kollektivi və özündən aşağıda olanları idarə edə bilmək bacarığına görə dəyərləndirilməlidir. Amma realda belə deyil - müdirlər öz həyatlarının nə qədər asanlaşıb-çətinləşəcəyini hesablayaraq insanlara vəzifə verirlər\". Düyünü necə qırmaq olar? Tenisçi Roger Federet cinsi mənsubiyyətinə və özünə güvəndiyinə görə yox, çox bacarıqlı olduğuna görə turnirlərdə qələbə qazanır Bacarıqsız liderlərdən qurtulmaq üçün Tomas şirkətlərə və ya demokratik təşkilatlara aşağıdakıları məsləhət görür. 1. Birini işə götürəndə və ya ona səs verəndə yuxarıda sadalanan əlamətlərə diqqət edin və daha yaxşı liderlik vəd edən xüsusiyyətlərinin olub-olmadığını araşdırın. Sizə lazım olan xüsusiyyətlər bunlardır: 2. İnstinktlərə etibar etməməyi öyrənin. Təəssüratlarınızı və hisslərinizi unudun, ancaq göstəricilərə baxın. Mümkün olduqca, bir şəxsin iş yerində intriqa bacarıqlarından daha çox liderlik fəaliyyətindəki nəticələrinə diqqət edin. Tomas deyir ki, \"Təşkilatlarda bu haqda məlumatlar kifayət qədər çoxdur. Amma çox vaxt insanlar onlardan istifadə etmir, sadəcə \"bəyəndikləri\" namizədləri seçirlər\". 3. Tomas cinsiyyət bərabərliyindəki pozitiv ayrı-seçkiliyə də mənfi yanaşır. \"Bu cür yanaşmalar, adətən, uğursuzluqla nəticələnir, çünki bacarığa yox, cinsi mənsubiyyətə diqqət yetirilir\". \"Əgər bu problemi həll etmək istəyirsinizsə, işində bacarıqlı olan qadınların yüksəlməsi üçün keyfiyyəti azaltmayan şərtlər təmin edin ki, onlar da lider ola bilsinlər. Bacarıqsız kişilər üçünsə şərtləri ağırlaşdırın\", - Tomas belə deyir. Problemi qadınlar həll edəcəkmi? Tomas deyir ki, hədəf pozitiv ayrı-seçkilik yox, bacarıq və potensial olmalıdır. \"Problemi qadınlar yox, bacarıq və potensial məsələlərinə ciddi yanaşmağınız həll edəcək\", - Tomas deyir. Əgər bir təşkilatın əsas hədəfi bacarıq və potensialdırsa, bu, \"daha çox qadının vəzifə almasıyla nəticələnməyəcək, eyni zamanda lider pozisiyalarında onların kişilərdən daha çox yer tutmasıyla nəticələnəcək\". Psixoloq Tomas Chamorro-Premuzic Tomas qeyd edir ki, araşdırmaların nəticələrinə görə, \"təvazökarlıq, fəaliyyət, ətrafdakılara müsbət təsir etmək bacarığı, özünüdərk, insanlarla münasibətlər və iş bacarığı məsələlərində qadınlar kişilərdən daha üstün performans göstərirlər\". Bundan başqa, inkişaf etmiş ölkələrdə biznes üzrə təhsil də daxil olmaqla, qadınlar bütün sahələrdə kişilərdən daha yüksək nəticələr əldə edirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52937171", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52860117", "doc1": "আমেরিকায় করোনাভাইরাস মহামারি তুলনামূলকভাবে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য বেশি আতংকের হওয়ার পরেও জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বহু শহরে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন আফ্রিকান আমেরিকানরা। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় শহর বাফেলোতে দুজন পুলিশ অফিসারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে তাদের একজন শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে, যার পর তদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর নিউ ইয়র্ক শহরে, ছুটে পালানো বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশের নির্দয় আচরণের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। মিনিয়াপোলিসে যেখানে জর্জ ফ্লয়েড পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান, সেই শহরে তার স্মরণে একটি অনুষ্ঠান শেষ হবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এসব পুলিশি নির্মমতার ঘটনা ঘটে। জর্জ ফ্লয়েডের ওপর নির্যাতনের ভিডিও ছবি একটা আলোড়ন ফেলে দেয় এবং এর থেকেই আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন শহরে আফ্রিকান আমেরিকানদের ওপর পুলিশের আচরণ এবং বর্ণবৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গত আট দিন ধরে যেসব প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে তার একটা বড় অংশই ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কিন্তু কোন কোন বিক্ষোভে সহিংসতা ও দাঙ্গা হয়েছে এবং বেশ কিছু শহরে এ কারণে কারফিউ জারি করতে হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় অ্যারিজোনার পুলিশ আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ডিওন জনসনের মৃত্যুর বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। ২৫শে মে তারিখে যেদিন জর্জ ফ্লয়েড মারা যান, সেই একই দিনে অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে মারা যান মি. জনসন। মি. জনসনকে ওই রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয় তার গাড়ি যান চলাচল আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছিল এবং তাকে গাড়ির চালকের আসনে ''অচেতন অবস্থায় দেখা যায়''। ''সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মোকাবেলার সময় পুলিশের সাথে তার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় এবং সশস্ত্র পুলিশ সদস্য তার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়,'' পুলিশ জানায়। পুলিশের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং এবং পরিবহন দপ্তরের রেকর্ড করা ঘটনার ভিডিও যখন পরিবারের হাতে দেয়া হয় তখনই পুলিশের এই বিবৃতি প্রকাশ হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে কেন কিছু প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান বিক্ষোভের মুখে ঘণ্টা খানেক বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউ অমান্য করে চলছে বিক্ষোভ আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৬৩ সালে আলাবামায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ওপর পুলিশের কুকুর লেলিয়ে দেবার দৃশ্য ভিডিওগুলোতে কী দেখা গেছে? বাফেলোর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশ যখন কারফিউ বলবৎ করছিল তখন ৭৫ বছর বয়স্ক একজন পুরুষ পুলিশের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে এগিয়ে যায়। ধাক্কায় ভদ্রলোক মাটিতে পড়ে যান এবং মাথায় আঘাত পান। দেখা যায় ওই বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে আছেন এবং তার কান থেকে গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর দেখা যায় তার মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগেছে। বাফেলো পুলিশ বিভাগ থেকে প্রথমে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়, ওই ব্যক্তি \"'হোঁচট খান'' এবং ''বিক্ষোভকারীদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময়'' তিনি মাটিতে পড়ে যান। এই বিবৃতি সোসাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে আরও মাত্রা যোগ করেছে। পুলিশের একজন মুখপাত্র জেফ রিনোল্ডো পরে বলেন, যে অফিসাররা ওই বিবৃতি দিয়েছিলেন তারা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন না। তিনি আরও জানান যখন এই ভিডিও প্রকাশ পায় যাতে দেখা যায় দুজন পুলিশ অফিসার ওই বৃদ্ধ বিক্ষোভকারীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে তখন তাদের বেতন না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়। সেই একই দিন সন্ধ্যায়, নিউ ইয়র্ক শহরে একজন সরবরাহ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় শহরে কারফিউ শুরু হবার ২৭ মিনিট পর। অথচ ওই চালক ছিলেন জরুরি সেবা কর্মী এবং কারফিউয়ের আওতার বাইরে। টুইটারে পোস্ট করা ঐ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ম্যানহাটান থেকে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে। তার সাইকেলের পাশে সরবরাহ করার জিনিসের বাক্স রাখা আছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল জরুরি সেবা কর্মীরা কারফিউয়ের আওতার বাইরে থাকবে। শহরের উইলিয়ামসবার্গ এলাকায় তোলা আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধরছে, এদের মধ্যে অন্তত একজন বিক্ষোভকারীকে মাটিতে ফেলে তাকে গ্রেপ্তার করার দৃশ্য ভিডিওটিতে ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছেন, তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জবাবে কী বলছে? বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়মো পুলিশের পক্ষ সমর্থন করে বলেছেন তারা \"বিনা কারণে\" কোন নাগরিককে মারধর করেনি, এবং তিনি বলেছেন ''তারা যদি তা করে থাকে সেটা অন্যায়''। শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন কর্তৃপক্ষ যা করছে তার ''সবই করা হচ্ছে বিক্ষোভ দমনের প্রয়োজন থেকে''। আমেরিকায় বর্ণ বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত আছে আজকের আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি পুলিশের নির্মমতার বীজ তবে তাদের ওই বক্তব্যের পর রাতের বেলা যা ঘটেছে গভর্নর এবং মেয়র দুজনেই তার নিন্দা করেছেন। মি. কুওমো এক টুইট বার্তায় বাফেলোর ঘটনাকে ''পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং খুবই ন্যাক্কারজনক'' বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ''পুলিশ আইন প্রয়োগ করবে- তার অপব্যবহার করবে না''। ইতোমধ্যে মেয়র ডে ব্লাসিও বলেছেন জরুরি সরবরাহ কর্মীকে গ্রেপ্তারের ভিডিও দেখার পর তিনি শহরের পুলিশ বিভাগের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার প্রেক্ষাপট জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে তা দমনে পুলিশ কারফিউ জারি করার সময়ে এসব ঘটনা ঘটেছে। মিনিয়াপোলিস শহরে ২৫শে মে তারিখে ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েড জাল নোট ব্যবহার করে সিগারেট কিনছিলেন কি না পুলিশ তা তদন্ত করতে গিয়ে তাকে আটক করে। এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায় একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে এবং সেসময় মি. ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে ফেলে ওই পুলিশ অফিসার বেশ কয়েক মিনিট ধরে তার হাঁটু দিয়ে মি. ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে আছে। যদিও মি. ফ্লয়েড বারবার কাতরাতে কাতরাতে বলছেন তিনি নি:শ্বাস নিতে পারছেন না। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকার বহু শহরে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও। বুধবার অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেনে বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেনে লন্ডনের কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছে। অস্ট্রেলিয়ারে সিডনি শহরে শনিবার ৬ই জুন যে বিক্ষোভ হবার কথা আছে, করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশংকা থেকে, পুলিশ তা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জর্জ ফ্লয়েডের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর আগেও সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের নির্মমতার শিকার হয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল মিসৌরির ফার্গুসনে মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যু, নিউ ইয়র্কে এরিক গার্নার ও আরও বেশ কিছু কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যুর যার ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে গতি পেয়েছে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন - কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনেরও দাম আছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু বহু মানুষের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য ও বর্ণ বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই বিক্ষোভের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে তাদের চরম হতাশা। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে আটকের পর নিউ ইয়র্ক পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এরিক গার্নার বেশ কিছু শহরে কারফিউ জারি করার পরেও মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে এমনকী বৃহস্পতিবারেও। মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণসভায় যোগ দেন কয়েকশ মানুষ। তারা ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করেন। অভিযোগ করা হয় যে শহরের পুলিশ ৮মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে মি. ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে তার গলা চেপে ধরেছিল। জর্জ ফ্লয়েডেরএকজন আইনজীবী ওই স্মরণ অনুষ্ঠানে বলেন, ''বর্ণবাদের মহামারি''তে মি. ফ্লয়েডকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যাজক রেভারেন্ড আল শার্পটন মি. ফ্লয়েডের জীবন সম্পর্কে বলার সময় বলেন আমাদের এখন মাথা তুলে বলার সময় এসেছে: ''আমাদের গলার ওপর থেকে আপনাদের হাঁটু তুলে নিন\"।", "doc2": "Cümə günü etirazçılara qarşı gözyaşardıcı qazdan istifadə olunub Washington-da, Ağ Evin yaxınlığında toplaşan yüzlərlə insan ədalətin bərpasına çağırıb. ABŞ şəhərlərindəki etirazlar Minneapolisin özündə bir neçə gün davam edən talan və yanğınlardan sonra yer alır. Çərşənbə axşamı günü yüzlərlə insan Floyd-un həbs edilərkən öldüyü yol kəsişməsinə çıxıb. Bundan əvvəl etirazçılar tərəfindən yerli polis bölməsinə od vurulub. George Floyd-un dediyi \"Nəfəs ala bilmirəm!\" sözləri ölkə boyunca keçirilən etirazların əsas şüarıdır. Atlanta şəhərində polis maşınları yandırılıb Atlanta şəhərində zorakı hərəkətlərə əl atan etirazçılar, polis maşınlarını yandırıb, hüquq-mühafizə qüvvələrinə hücum ediblər. Atlanta polisinin nümayəndəsinə görə, ən azı üç polis əməkdaşı yaralanıb. Bir neçə nəfərin həbs olunduğu bildirilir. Polislə etirazçılar arasında toqquşmalar New York-un Brooklyn bölgəsində də baş verib. Dallas şəhərində zabitləri daşa tutan etirazçılara qarşı gözyaşardıcı qazdan istifadə olunub. Los Angeles və Oakland-da etiraz əlaməti olaraq yollar bloklanıb. 46 yaşlı George Floyd mayın 25-də həbs edilərkən ölüb. Hadisəni təsvir edən videoda Floyd-un boğazını dizi ilə yerə sıxan polis əməkdaşını görmək olar. Floyd dəfələrlə nəfəs ala bilmədiyini deyir. Polisə əsasən, saxta pulun istifadəsiylə bağlı xəbəri yoxlayan polislər Floyd-a yaxınlaşarkən müqavimətlə üzləşiblər. Hadisə ilə əlaqədar işdən çıxarılan dörd polis işçisindən biri həbs edilib. Lakin həbs və araşdırma barədə xəbərlər etirazları dayandırmayıb. Küçələrə çıxan sakinlər həbsdə iştirak edən daha üç polisin məsuliyyətə cəlb olunmasını tələb edirlər. Etirazlar bazar ertəsindən bəri davam edir"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54868911", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-54809478", "doc1": "করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। সেই পদক্ষেপে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। তার শিবির থেকে জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং মার্কিন নাগরিকদের মাস্ক পরতে বলা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তন সেই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া নীতিমালাগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করবেন তিনি। যদিও মি. ট্রাম্প বলেছেন বাইডেনের জয় এখনো অনুমান যেহেতু কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে এখনো ব্যালট গণনা চলছে। তবে বাইডেন শিবির জানুয়ারিতে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া বেশকিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার হয় না, সেগুলোকে আগের অবস্থানে নেবার পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে আবারো যোগ দেবে দেশটি। এখনো হার মানেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন জো বাইডেন। যে সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে। বারাক ওবামার সময়কার কিছু নীতিকে পুনর্বহাল করবেন। বিশেষ করে শিশু বয়সে যারা কোন বৈধ কাগজ ছাড়া অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া। জো বাইডেন তার বিজয়ী ভাষণেও আসছে দিনগুলোতে তার নীতিমালা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিয়েছেন। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার হেরে যাবার দিনটি যেভাবে কাটালেন যে পাঁচটি কারণে নির্বাচনে জিতেছেন জো বাইডেন তার একটি হচ্ছে, \"আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা বন্ধ করতে হবে।\" ভাষণে জো বাইডেন ঐক্য, সহনশীলতা, সহযোগিতার সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানান। ভাইস প্রেসিডেন্ট 'ইলেক্ট' কমালা হ্যারিসের সাথে মিলে এরই মধ্যে একটি ট্রানজিশন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে করোনাভাইরাস মহামারিকে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। মহামারি মোকাবেলায় পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে করোনাভাইরাস মহামারিকে যেভাবে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রেই। জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের এসব নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার বিজয়ী ভাষণেই একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন যারা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেবেন। জো বাইডেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চান। সকল মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিয়মিত বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং সকলের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্য ভিত্তিক নির্দেশিকা প্রচলন করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৩৭ হাজারের মতো মানুষ করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদক্ষেপ পরিকল্পনা হচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মৃত্যুকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভে বর্ণবৈষম্য মোকাবেলা জো বাইডেন এমনই এক সময়ে দায়িত্ব নেবেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের একের পর এক মৃত্যুকে ঘিরে দীর্ঘ সময়ে সহিংস বিক্ষোভে চলেছে। ট্রাম্পের সময়ে বর্ণভিত্তিক বিভেদ বৃদ্ধি এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মি. বাইডেন বর্ণভিত্তিক বৈষম্য উচ্ছেদকে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত হিসেবে তৈরি করতে চান। তিনি সরকারি তহবিল ব্যবহার করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান। কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পদের বৈষম্য দুর করতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে সেটি নিশ্চিত করতে চান। পুলিশ বাহিনীর জন্যেও কিছু পরিবর্তন পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ করে কোন অপরাধীকে আটক করার সময় কিছু শক্তি প্রদর্শনের পন্থা। পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের জন্য একটি কমিশন করার কথাও ভাবছেন তিনি। অন্যান্য খবর: যে আসামির কারামুক্তির শর্ত মা ও সন্তানদের দেখভাল করা কুমিল্লায় হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় খোঁজ নিচ্ছে ভারত মিয়ানমার নির্বাচন: রোহিঙ্গা নিয়ে কার কী অবস্থান, অং সান সু চি জিতবেন?", "doc2": "Son məlumata əsasən, demokratların namizədi əsas döyüş meydanı sayılan Pennsylvania ştatında səslərin çoxunu qazanaraq qələbə üçün tələb olunan 270 səs həddini keçməyə müvəffəq olub. Joe Biden həlledici ştatların əksəriyyətində üstünlük qazansa da, bu, hələlik rəsmi qələbə demək deyil: seçki kollegiyası ABŞ prezidentini 14 dekabrda seçəcək. Bidenin qələbəsinin proqnozlaşdırılması, səslərin hesablanması başa çatan ştatlara aid qeyri-rəsmi nəticələrə və hesablanmanın davam etdiyi Wisconsin kimi ştatlardan gözlənilən nəticələrə əsaslanır. Kamala Harris-lə birgə seçkilərə qatılan Joe Biden-in qələbəsi təsdiqlənərsə, ABŞ-da ilk dəfə olaraq qadın vitse-prezident olacaq. Bir neçə gündür davam edən bülletenlərin sayılmasına görə rəqibini qabaqlayan Joe Biden bir neçə dəfə deyib ki, prezident seçkilərində qalib gələcəyinə şübhə etmir. Hərçənd ki, o, səslərin sayılmasını gözləyəcəyini vurğulayıb. Donald Trump, bəzi yerlərdə öz liderliyinin \"möcüzəvi şəkildə\" yoxa çıxdığını deyərək məhkəmədə iddia qaldıracağı ilə hədələyib. O, cənab Biden-in \"özünü qalib kimi göstərdiyini\" söyləyərək seçkinin \"bitməmiş\" olduğuna inandığını bildirib. Trump kampaniyası əsas ştatlar olan Wisconsin, Georgia, Pennsylvania və Michigan-dakı səs sayımlarından narazı olduğunu deyib. Koronavirus pandemiyasına görə, poçtla daxil olan rekord sayda səslərin sayılması hələ də davam edir. 2016-cı ildə ABŞ Prezidenti seçilmiş cənab Trump \"saxtakarlıq\" iddiaları ilə çıxış edib və milyonlarla səsin hesablanmasına baxmayaraq Ali Məhkəməyə müraciət edəcəyini söyləyir. Seçkilərdən sonra cənab Biden Delaware-də tərəfdarlarına seçkilərin \"hər bülleten sayılana qədər bitmədiyini\" söyləyib və \"qələbə qazanmağın yolundayıq\" deyə israr edib. Bu dəfəki seçkilərdə iştirakçılıq faizi də bir əsrdən çox müddət ərzində yüksək hesab olunur. Bəzi ştatlarda səslərin sayılması günlərlə davam edə bilər. Bu dəfəki seçkilərə milyardlarla dollar xərclənib və o, ən bahalı ABŞ prezident seçkiləri hesab olunur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43068511", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43083983", "doc1": "অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলছেন ফরাসী গবেষকরা কেক, চিকেন নাগেট ও বড় পরিসরে উৎপাদিত রুটিকে \"অতিরিক্ত প্রকিয়াজাতকৃত\" খাবারের মধ্যে রেখেছেন গবেষকরা। ১ লক্ষ ৫ হাজার লোকের উপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে যত বেশি এই ধরনের খাবার গ্রহন করা হয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি ততই বেড়ে যায়। এই গবেষণা নিয়ে অনেকে বিতর্কিত মত পোষণ করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সুস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণই সর্বোৎকৃষ্ট। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার কোনগুলি •বড় পরিসরে উৎপাদিত প্যাকেটজাত রুটি •মিষ্টি বা মসলাযুক্ত স্ন্যাকস •চকলেট বার ও মিষ্টি •সোডা ও কোমল পানীয় •মিটবল, পোলট্রি ও ফিশ নাগেট •ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও স্যুপ •ফ্রোজেন ও রেডি খাবার •চিনি, তেল ও চর্বি দিয়ে তৈরী খাবার খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকির অন্যতম প্রধাণ কারণ হিসেবে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ধূমপান বন্ধ করার পর ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ অথিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ায়। ইউনিভার্সিতে সোরবোন পারী সিতে'র একটি গবেষণা দল গড়ে ৫ বছর ধরে এই গবেষণা চালায়। জরিপের অধিকাংশ অংশগ্রহনকারীই ছিল মধ্যবয়সী নারী। বৃটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় উঠে আসে, খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের হার ১০% বাড়লে, ক্যান্সারের ঝুঁকি ১২% বেড়ে যায়। এই ধরনের রুটি কি আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়? এই গবেষণা চালানোর সময়: •গড়ে ১৮% মানুষের খাবার ছিল অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত •গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার লোকের মধ্যে ৭৯ জনের ক্যান্সার দেখা গেছে •প্রক্রিয়াজাত খাবারের হার ১০% বাড়ানোর ফলে বছরে প্রতি ১০ হাজারে অতিরিক্ত ৯ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বাড়ার সাথে সাথে আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার অঅক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তাঁরা জানান এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো বড় আকারের জরিপ ও গবেষণা চালানো প্রয়োজন। অতিরিক্ত ওজন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ক্যান্সারের মধ্যে নিশ্চিত কোনো সম্পর্ক এই গবেষণায় উঠে আসেনি। এই গবেষণা থেকে বলা যায় না যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের একটি কারণ। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর লিন্ডা বল্ড বলেন, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণকারীদের ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে, আর ওজন বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাস ও ওজনের পারস্পরিক সম্পর্ক আলাদাভাবে বিচার করা কঠিন। মিজ. বল্ড বলেন \"এই গবেষণা আমাদের জন্য একটি সতর্কতাবার্তা দেয়, তবে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খেলে স্বল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়।\" পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার বিষয়ে ভিন্ন মত ও সমালোচনা প্রকাশ করেছেন।", "doc2": "Araşdırma müəllifləri xərçəng riskini artıran qidalara kütləvi istehsal edilərək paketlənmiş çörək növləri də aid edilib Alimlər aşırı emal edilmiş ərzaq növlərinə qızardılmış toyuq tikələri, tort və kütləvi istehsal edilən çörəyi də aid ediblər. Araşdırmada 105 min adam iştirak edib. Onun nəticələrinə əsasən emal edilmiş ərzaq istehlakının artması ilə xərçəng riskinə tutulma şansı da artmış olur. Tədqiqatın nəticələrinə dair ehtiyatlı yanaşma izhar olunur. Ekspertlər sağlam qidalanmanın üstünlüyünü qeyd edir. Aşırı emal edilmiş ərzaq növlərinə nə aid edilir? Qida ilə xərçəng riski arasında əlaqə barədə çoxsaylı araşdırmalar mövcuddur. Artıq çəkililik, siqaretdən sonra xərçəng riskini artıran ən ciddi amillərdən biridir. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) emal edilmiş ətin də xərçəng riskini bir qədər artırdığını bildirir. Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43361889", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43315778", "doc1": "স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ড্যানিয়েলস দাবি করছেন যে ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো যা শুরু হয়েছিলো ২০০৬ সালে যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মিস্টার ট্রাম্প। কিন্তু তাদের মধ্যকার এ গল্পটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? এবং এ সম্পর্কে কি জানা দরকার ? বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভয় কি কাটলো এবার? শাহিরা ইউসুফ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাবধারী মডেল রুশ গুপ্তচর হত্যা চেষ্টা: নার্ভ এজেন্টের সন্ধান মিলেছে কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস? তার এখনকার পরিচিত পর্ণ তারকা বা প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির অভিনেত্রী হিসেবে, তবে তার প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানায় ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। পর্ণ ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সম্পৃক্ত হন ২০০৪ সালে, সেখানে তার নাম স্টর্মি ড্যানিয়েলস। হুইস্কির নামকরা ব্র্যান্ড জ্যাক ড্যানিয়েলস থেকে একটি অংশ তিনি নিজের নামের সাথে বেছে নিয়েছেন নিজেই। নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন? একবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথাও ভেবেছিলেন এই পর্ণ তারকা। লুজিয়ানায় সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা চিন্তা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে সে চিন্তা থেকে সরে আসেন। আর এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে তার প্রার্থিতাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া হচ্ছেনা। স্টর্মি ড্যানিয়েলস তার অভিযোগ কী? এটা জানার জন্য ফিরে যেতে হবে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। স্টর্মি জানান তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন একটা চ্যারিটি গলফ টুর্নামেন্ট চলার সময়। এটা হচ্ছিলো ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার মাঝে একটা রিসোর্ট এলাকায়। এর আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে মিস্টার ট্রাম্প তাকে ডিনারে নিমন্ত্রণ করেছিলেন এবং তিনি তার হোটেলের রুমে তার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিলো বলে দাবি করেন স্টর্মি। যদিও মিস্টার ট্রাম্পের আইনজীবী এটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ঘটনাটি ঘটেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের জন্মের মাত্র চার মাসের মধ্যে। আর কি কি বলছেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস? স্টর্মির দাবি মিস্টার ট্রাম্প তাকে তার টিভি শোতে নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলছেন মিস্টার ট্রাম্পের সাথে থাকার সময় একটি প্রামাণ্যচিত্রও দেখেছিলেন। দু জনের মধ্যে অনেক বছর ধরেই কথা হচ্ছিলো দাবি করে তিনি আরও জানান ২০১০ সালে যখন তিনি সিনেটে নির্বাচনের পরিকল্পনা বাদ দেন সেই সময়ে দুজনের মধ্যে শেষবার কথা হয়। যদিও এ সম্পর্ক নিয়ে গুজব তৈরি হয় ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। মেলানিয়া ট্রাম্প ও কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাহলে এতদিন পর একটি এখন খবর কেন? গত কয়েকমাস ধরে এ খবরটি হচ্ছে। জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে একটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছিলো যেখানে দাবি করা হয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে অর্থাৎ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে মিস ক্লিফোর্ডকে (স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর প্রকৃত নামে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। মিস্টার কোহেন এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও পরে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে তিনি টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে দাবি করেন যে ট্রাম্প বা তার সংশ্লিষ্ট কেউ জানতেননা। জার্নালটির দাবি এ অর্থ দেয়া হয়েছে একটি অপ্রকাশিত চুক্তির আওতায় যেখানে শর্ত ছিলো যে মিস ক্লিফোর্ড মিস্টার ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে কিছু প্রকাশ করবেননা। হোয়াইট হাউজ অবশ্য বলছে এগুলো পুরনো খবর যা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং এগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মিস ক্লিফোর্ডের আইনজীবী টুইট করে জানান তারা এ নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গেছেন। আর বুধবার হোয়াইট হাউজ দাবি করে মামলায় ট্রাম্প জিতেছেন এবং তাতেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কেমন? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর মধ্যকার ঘটনাপ্রবাহ অনেকদূর এগোলেও অনেকটাই চুপ রিপাবলিকান শিবির। তবে সাউথ ক্যারেলাইনার কংগ্রেসম্যান মার্ক স্যানফোর্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন এটি 'গভীর সমস্যা'। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের তরফে অনেকেই মিস ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেয়ার ঘটনাটিকে তদন্ত করার জন্য এফবিআইয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। মাইকেল কোহেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর কি কোন প্রভাব পড়বে? অভিযোগটি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে এবং এটি আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। একদিকে রাশিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে মিস্টার ট্রাম্পের সহযোগীদের অনেকেই তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন বা কেউ নজরদারিতে আছেন। এটাকে আলোচনা থেকে সরাতে হোয়াইট হাউজের দরকার আরেকটি স্ক্যান্ডাল,এমন মতও আসছে? অনেকে মনিকা লিউনস্কির সাথে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যা বলায় অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সে উদাহরণও তুলছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে বিল ক্লিনটনের মত কি কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ?", "doc2": "Stormy Daniels deyir ki,o, cənab Trump-la intim əlaqələrə 2006-ci ildə başlayıb Əsl adı Stephanie Clifford olan porno ulduzu deyir ki, 2016-cı il ABŞ prezident seçkilərindən əvvəl imzaladığı saziş, cənab Trump tərəfindən imzalanmadığına görə etibarsızdır. Cənab Trump-ın şəxsi vəkili Michael Cohen keçən ay fərdi şəkildə Stormy Daniels-a 130 min dollar ödədiyini etiraf edib. Xanım Clifford məhkəməyə müraciətində Michale Cohen-in onu \"susdurmaq üçün hədə qorxu\" gəldiyini iddia edir. 2011-ci ildə InTouch jurnalına verdiyi müsahibədə xanım Clifford Donald Trump-la cinsi əlaqəyə 2006-cı ildə, cənab Trump-ın yoldaşı Melania Trump-ın oğlu Barron-u doğduğundan qısa müddət sonra başladığını deyib. Lakin bu hadisə, Wall Street Journal qəzetinin sirrin qorunması barədə sazişin imzalanması xəbərini yaydıqdan sonra bir daha gündəmə gəlib. Qəzetin iddiasına əsasən, sazişin məqsədi xanım Daniels-ı seçkidən qabaq susdurmaq imiş. Cənab Cohen Donald Trump və porno ulduzu arasında hər hansı romantik əlaqələrin olmasını \"sərt şəkildə inkar\" edib. Vəkil Stephanie Clifford-a pul ödədiyini etiraf etsə də, ödənişin səbəbini izah etməyib. O, nə cənab Trump-ın nə də ki, onun ailəsinə məxsus Trump Organization şirkətinin ödənişlə əlaqəsi olmadığını deyib. \"Xanım Clifford-a ödəniş qanunidir və kimsə tərəfindən ödənilən (seçki) kampaniya ödənişi və ya kampaniya xərci deyil\", o deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50611971", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40273878", "doc1": "সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রিজের একপাশে কয়েকজন পথচারী মিলে এক ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায় ছুরি নিয়ে কয়েক জন ব্যক্তির ওপর হামলার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই জনগণের সহায়তায় এবং পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন। ছুরিকাঘাতে একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ভুয়া বিস্ফোরকের ডিভাইস পড়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে তার নাম উসমান খান এবং তার বয়স ছিল ২৮। হামলাকারী সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে এর আগে কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন। পুলিশ তার গতিবিধির ওপর নজর রাখবে - এমন শর্তে একবছর আগে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার মাত্রা কমিয়ে দেয়ার একমাসের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ২৮ বছরের উসমান খানকে ২০১২ সালে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল হামলাকারীর সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে পুলিশ জানিয়েছে, উসমান খান নামের ওই ব্যক্তিকে ২০১২ সালে সন্ত্রাসের দায়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। জনসুরক্ষার জন্য তাকে অন্ততপক্ষে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তিনি লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছেন। মোট নয়জনের ওই গ্রুপটি আরো কিছু হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৩ সালে আপিল আদালত ওই রায় বাতিল করে তাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়, যার মধ্যে অন্তত অর্ধেক সময় কারাগারে কাটাতে হবে। আল-কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ মি. খান এমআই-ফাইভের নজরদারির মধ্যে ছিলেন। যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের প্রধান নেইল বসু বলছেন, ''২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি কারাগার থেকে এই শর্তে ছাড়া পান যে, তার গতিবিধির ওপর পুলিশ নজর রাখবে। কীভাবে তিনি এই হামলা চালালেন, তা নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করা হয়েছে।'' স্ট্যাফোর্ডশায়ারে যেখানে মি. খান বসবাস করতেন, সেখানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ''ঘটনার সব দিক এখনো পরিষ্কার নয়। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে,'' বলেছেন মি. বসু। টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, এক বছর আগে যখন তাকে কারাগার থেকে ছাড়া হয়, তখন শর্ত ছিল যে, তার শরীরে একটি ইলেকট্রনিক ট্যাগ লাগানো থাকবে, যার মাধ্যমে তার গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হবে। এর আগে ২০১৭ সালের চৌঠা জুন লন্ডন ব্রিজ ও বারো মার্কেটে হামলা করা হয়েছিল, যাতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছিলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যেভাবে হ্যাকাররা বৈধভাবেই বিপুল অর্থ আয় করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে সুদানে নারীদের নিয়ন্ত্রণকারী আইন বাতিল পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? লন্ডন ব্রিজের একপাশে হামলার ঘটনাটি ঘটে যেভাবে হামলা ঘটে শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে লন্ডন ব্রিজের উত্তর অংশে, ফিশমোনগার'স হলে হামলার ঘটনাটি ঘটে, যেখানে বন্দীদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত একটি সম্মেলন চলছিল, যার আয়োজন করেছিল ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিও অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। ছাত্র ও সাবেক কারাবন্দীসহ অনেক মানুষ সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রিজের একপাশে কয়েকজন পথচারী মিলে এক ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে ওই পথচারীদের সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন এবং ওই ব্যক্তিকে গুলি করেন। ওই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হলে কয়েকজন সাধারণ নাগরিক তাকে আটক করে মাটিতে ফেলে দেন। এরপরেই পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। নিহত ব্যক্তি ভুয়া বিস্ফোরকের ডিভাইস পড়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। হামলা রুখে দেয়া সাধারণ মানুষের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ অনেকে।", "doc2": "Grenfell Tower-də 120 mənzilin olduğu deyilir Bina hələ də tam söndürülməyib və onun çökə biləcyi deyilir. Nə baş verib? Londonun qərbində yerləşən 24 mərtəbəli Grenfell Tower yaşayış binasında yanğın barədə məlumat yerli vaxtla 00:54-də daxil olub. Yanğının dördüncü mərtəbədə başladığı və sürətlə yayıldığı güman edilir. Yanğını söndürmək üçün 40 yanğınsöndürən maşın və təxminən 200 yanğınsöndürən cəlb edilib. Neçə nəfər həlak olub? London yanğınsöndürmə müvəkkili Dany Cotton \"bir neçə nəfərin həlak olduğunu\" bildirib, lakin o, \"binanın böyüklüyünə və mürəkkəbliyinə\" görə dəqiq neçə nəfərin ölməsi barədə məlumat verə bilməyəcyini deyib. 50-dən çox insan xəstəxanaya yerləşdirilib, London Təcili Yardım Xidmətindən bildirilib. Londonun qərbində çoxmərtəbəli yaşayış binası yanır, \"ölənlər var\" Hadisə şahidlərinin bildirdiyinə görə, ola bilsin ki, binada hələ də insanlar var. Binada 120 mənzilin olduğu deyilir. Yanğına nə səbəb olub? Yanğına nəyin səbəb olduğu hələ məlum deyil. Bina nə vaxt tikilib və harada yerləşir? Grenfell Tower 1974-cü ildə Londonun Kensington and Chelsea Borough bələdiyyəsi tərəfindən tikilib. Bina Londonun qərbində, Latimer Road stansıyası yaxınlığında yerləşir. Bina keçən il əsaslı təmirdən çıxıb. İki il davam etmiş təmirə 10 milyon funt-sterlinq xərclənib. Şahidlər nə deyir? Şahidlərin bildirdiyinə görə, onlar binada yardım istəyən və uşaqlarının xilasını tələb edən insanların olduğunu görüblər. Bəzilərinin bildirdiyinə görə binada qalmış sakinlər pəncərələrinə yaxınlaşıb, bəzilərinin əllərində uşaqlar olub. \"Mən bir nəfərin yıxıldığını gördüm. Bir qadın isə körpəsini pəncərədən çölə çıxarmışdı... qışıqırıq sələri eşidirdim. Binadakıların aşağı düşməsi üçün qışqırırdım, onlar isə tüstüdən mənzillərini tərk edə bilmədiklərini deyirdilər\", hadisə şahidi Jody Martin bildirib. Digər sakin, dördüncü mərtəbədə yaşayan Zoe deyib ki, o, qonşusunun qapını döyməsindən sonra oyanıb. \"Hər yeri tüstü bürümüşdü. Yanğın sürətlə dördüncü mərtəbədən ta 23-cü mərtəbəyədək yayıldı, qorxulu idi\", o əlavə edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48048886", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-47987265", "doc1": "কিম জং আন এবং ভ্লাদিমির পুতিন করমর্দন করছেন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী ভ্লাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে দুই নেতার এই বৈঠক হয়। ক্রেমলিন বলেছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করবেন এবং মিস্টার কিম যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় । কিন্তু রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ ও উত্তর কোরীয় নেতা দু'দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেন । মিস্টার পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান। \"আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কিভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।\" পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? দুই নেতার এটাই প্রথম সাক্ষাত মিস্টার কিম বলেছেন, তিনি আশা করেন \"দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর বৈঠক হবে যাদের দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস রয়েছে\"। উত্তর কোরীয় নেতা বুধবার পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের সাথে আন্তরিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করেন। দুই নেতার সম্মেলন সম্পর্কে এখনো যা জানা যাচ্ছে? রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্রেমলিন বিশ্বাস করে উত্তর কোরিয়ায় ছয়-জাতি আলোচনা যা বর্তমানে স্থগিত আছে, সেটাই এই উপদ্বীপের পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক সমস্যাকে সমাধানের একমাত্র কার্যকরী উপায়। ২০০৩ সালে সেই আলোচনা শুরু হয়েছিল, যাতে দুই কোরিয়া ছাড়াও চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছিল। \"এছাড়া আর কোনও কার্যকরী আন্তর্জাতিক মেকানিজম এই মুহূর্তে নেই,\" বুধবার সাংবাদিকদের বলেন মিস্টার পেসকভ। \"কিন্তু অন্যদিকে অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যখন তারা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের এবং দুই কোরিয়ার সমস্যা দূর করার সত্যিকার লক্ষ্য নিয়ে এগুবে তার মধ্যেই সমস্ত প্রচেষ্টার মাহাত্ম্য নিহিত রয়েছে।\" রাস্কি আইল্যান্ডে দুই নেতার বৈঠক হয়। দুই দেশের চাওয়া কী? গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার সাথে পরমাণু আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর এই সফরকে উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাদের যে শক্তিশালী বন্ধু রয়েছে সেটা তুলে ধরা সম্ভব হবে। উত্তর কোরিয়া হ্যানয়ের আলোচনা ভেস্তে যাবার জন্য জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে দোষারোপ করেছে। এই মাসের শুরুতে পিয়ংইয়ং এর পক্ষ থেকে মিস্টার পম্পেওকে \"ফালতু বক্তব্যের\" অভিযোগ তুলে তাকে আলোচনার বাইরে রাখার জন্য এবং তার জায়গায় \"অধিকতর সচেষ্ট\" কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পিয়ংইয়ং এর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ যে কেবল আমেরিকার ওপর নির্ভর করছে না- সেটি তুলে ধরারও একটি সুযোগ এই বৈঠক। মিস্টার কিম নিজ দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মেলন রাশিয়ার জন্যও একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে যেখানে তারা দেখাতে পারবে যে কোরীয় উপদ্বীপে তারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়নক। প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরীয় নেতার সাথে সাক্ষাতের জন্য বেশ আগে থেকে আগ্রহী ছিলেন। এমনকি ট্রাম্প-কিম বৈঠকের সময় ক্রেমলিন কিছুটা সাইড-লাইনে থাকা সত্ত্বেও। মিস্টার কিম নিজের সাঁজোয়া ট্রেনে করে পৌঁছান ভ্লাদিভস্তকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া কতটা ঘনিষ্ঠ? স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন তার কমিউনিস্ট মিত্র উত্তর কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সামরিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, মতাদর্শিক এবং কৌশলগত কারণে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং উত্তর কোরিয়া প্রধান মিত্র হিসেবে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের অধীনে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে তিনি সোভিয়েত-যুগ পরবর্তী উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ ঋণ সংকট মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন। যদিও উত্তর কোরিয়ার ওপর বর্তমানে রাশিয়ার কতটা প্রভাব আছে, তা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে, তবে দেশটিকে অন্যতম বিদেশী শক্তিগুলোর একটি বলে মনে করে এই কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রটি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার কিম জং-আনের অনুকরণকারীদের বিচিত্র জীবন", "doc2": "Putin Kimi Uzaq Şərq Federal Universitetinin ərazisində qarşılayıb. Putin və Kim Koreya yarımadasını nüvəsizləşdirməyə və bu işdə Rusiyanın Koreyaya edə biləcəyi köməyə dair birbaşa danışıqlara ümid etdiklərini bildiriblər. \"Biz sizin Koreya yarımadası ilə bağlı dialoqu inkişaf etdirmək, Şimali Koreya və Amerika Birləşmiş Ştatları arasındakı münasibətlərin normallaşdırılması ilə bağlı səylərinizi sözsüz alqışlayırıq\", - Putin deyib. \"Cənab prezident, mən ümid edirəm ki, sizinlə görüşümüz dərin kökləri olan Şimali Koreya ilə Rusiya arasındakı ənənəvi dostluq münasibətlərinin daha da möhkəmləndirilməsin' və inkişafına kömək edəcək\", - öz növbəsində Şimali Koreya lideri bildirib. Putin və Kim heç vaxt şəxsən görüşməyiblər. Putin və Kim Chen In görüşü Şimali Koreya üçün çətin vaxtda - bu ilin fevralında, Hanoyda Pxenyanın böyük ümidlər bağladığı ABŞ-la nəticəsiz bitmiş danışıqlar fonunda olub. Putin Kim Chen Inin Şimali Koreya lideri kimi öz ölkəsinin hüdudlarından kənarda görüşdüyü 6-cı liderdir. Kim ilk dəfə Çin rəhbəri Xi Jinping, daha sonra isə Cənubi Koreya lideri Mun Che In-lə görüşmüşdü. O, ABŞ prezidenti ilə iki dəfə görüşüb, bu danışıqlara qədər isə ABŞ-ın baş naziri ilə görüşərək ABŞ prezidenti ilə görüşü razılaşdırıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51276037", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51232900", "doc1": "চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে আর দেশটিতে নতুন এ করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজারেরও বেশি। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ কিংবা চলাচলে আরও বাধানিষেধ আরোপ করেছে চীন সরকার। উহান শহর, যেখান থেকে প্রথম এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছ, সেই শহরটি কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওদিকে চীনের বাইরেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। পুরো চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? ভাইরাসটি এমন সময়ে ছড়ানো শুরু করলো যখন চীনা নববর্ষ পালিত হতে যাচ্ছে যে সময়টিতে লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর, আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ করে থাকে। তবে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য চীন সরকার নববর্ষের ছুটি তিনদিন বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকজনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটি তার নাগরিকদের চীনা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছে, বিশেষ করে উহান যেই প্রদেশে সেই হুবেই ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। আরও কিছু দেশ জরুরি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের চীন ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে আর কিছু দেশ উহানে আটকে পড়া তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে চীনের বাইরে এখনো কারও মারা যাওয়ার খবর আসেনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আমরা পুরো অবরুদ্ধ: উহান থেকে বাংলাদেশি ছাত্রী উহানের বাংলাদেশিদের বিচলিত না হবার আহ্বান যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীনে করোনাভাইরাস কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?", "doc2": "Çində təsdiqlənmiş yoluxma hallarının sayı 27 yanvar tarixi üçün 4515-ə çatıb. Bir gün əvvəl isə bu rəqəm 2355 idi. Bununla yanaşı, ölkə virusun yayılmasının qarşısını almaq üçün səyahət məhdudiyyətlərini daha da sərtləşdirib. Koronavirus şiddətli, kəskin respirator infeksiyaya səbəb olur və onun xüsusi bir müalicəsi və ya peyvəndi yoxdur. Türkiyədə 12 nəfər də koronavirüs şübhəsi ilə xəstəxanaya aparılıb, lakin onlarda virus aşkarlanmayıb. Aksaray şəhərində Çindən gələn 10 turist, bir sürücü və bələdçi müşahidə altında saxlanılırlar. Səhiyyə naziri Fahrettin Koca isə deyib ki, \"indiyə qədər qəti koronavirus diaqnozu qoyulmuş xəstəmiz yoxdur\". Çində baş verən 106 ölüm hadisəsindən 100-ü Hubei əyalətindədir. Burada yoluxma hallarının sayı 2714-ə çatıb. Ölkədə virusun yayılmasının qarşısını almaq məqsədilə Çin Yeni ili bayramı üç gün uzadılıb. Bazar ertəsi günü Çinin hökumət başçısı Li Keqiang virusun yayıldığı Hubei bölgəsinin paytaxtı Wuhan şəhərinə gedib. Virusun yayılmasının mərkəzi hesab edilən 11 milyon insanın yaşadığı Wuhan şəhərinə səyahət ciddi şəkildə məhdudlaşdırılıb. Bazar ertəsi günü Çinin hökumət başçısı Li Keqiang virusun yayıldığı Hubei bölgəsinin paytaxtı Wuhan şəhərinə gedib. Wuhan şəhəri blokadaya alınıb, yollarda vacib olmayan nəqliyyat vasitələrinin hərəkətinə qadağa qoyulub. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı və yerli səlahiyyətlilərə görə, Çindən kənarda bu virusa yoluxma ilə bağlı təsdiqlənmiş azı 47 hal qeydə alınıb. Son təsdiq edilmiş hal Almaniyanın Bavariya vilayətindədir. Avropada bu günə qədər yalnız 4 hal qeydə alınıb. Ölənlərin çoxu yaşlılar və ya əvvəlcədən respirator problemləri olan adamlar olub. Çində vəziyyət necədir? Çinin dörd əsas şəhərlərində - Pekin, Şanxay, Xian və Tianjin şəhərlərində Yeni il şənliklərinin miqyası azaldılıb, avtobusla uzun yol səyahətləri qadağan olunub. Çində həmçinin Böyük Çin səddinin bir hissəsi də turistlərə qapadılıb. Bir neçə şəhərlərdə ictimai yerlərdə üz maskası taxmaq məcburi qayda kimi qoyulub. Honq Konq və Şanxayda Disney parklar bağlanılıb. 11 yoluxma halının qeydə alındığı Honq Konqda şəhər boyu fövqəladə hal elan olunub, məktəblər isə fevralın 17-dək bağlanıb. Beynəlxalq vəziyyət necədir? Dünya Səhiyyə Təşkilatı və yerli hökumətlərin məlumatlarına görə, Çindən kənarda koronavirusa yoluxma hallarının sayı 42-dir. Bu hallar aşağı kimidir: Tailand: 8 Avstraliya, Sinqapur, Tayvan: 5 Malayziya, Cənubi Koreya, Yaponiya: 4 Fransa: 3 Vyetnam: 2 Nepal, Kanada, Kamboca, Şri Lanka, Almaniya: 1 Virusa yoluxanların demək olar ki, hamısı bu yaxınlarda Wuhan şəhərinə səyahət edənlərdir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45479731", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45212009", "doc1": "Arnold Schwarzenegger starts a conversation about mental health আলি নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ কিংবদন্তী বডি বিল্ডার মি. শোয়ার্জনেগারকে একটি মেসেজ করেছিলেন অনুপ্রেরণামূলক কিছু উপদেশ চেয়ে। মি. আলি মেসেজে লেখেন যে তিনি 'কয়েক মাস ধরে বিষন্নতায় ভুগছেন' এবং ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছেন। কানাডা'র কুইবেকে'র বাসিন্দা আলি বিবিসি'কে বলেন, \"আমি বিছানায় পড়ে ছিলাম এবং খুবই হতাশ বোধ করছিলাম যখন ঐ মেসেজটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। বেশ কয়েকমাস ধরেই বিষন্নতায় ভুগছিলাম আমি।\" রেডিটে মি.আলি'র করা পোস্ট কিন্তু আলি চিন্তাও করেননি যে সুপারস্টার শোয়ার্জনেগার তার মেসেজের উত্তর দিবেন। মেসেজের উত্তরে শোয়ার্জনেগার আলিকে 'ছোট ছোট ধাপে' সমস্যা সমাধান করার উপদেশ দেন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের বড় ভক্ত আলি বলেন, \"মেসেজ পাওয়ার পর লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আমার প্রথম চিন্তা ছিল কত তাড়াতাড়ি জিমে যেতে পারবো। মেসেজটি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে আমাকে।\" আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আরও পড়তে পারেন: নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’ সহিংসতার ঘটনায় মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা জাপানে কাজের চাপে মারা যাচ্ছে কর্মচারীরা মি. আলি'র পোস্টের উত্তরে করা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পোস্ট রেডিটে ৭০ হাজার 'আপভোট' পায় এই কথোপকথন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সাথে মি. আলি'র এই মেসেজ আদান প্রদানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই তাদের নিজেদের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করেন। মি. শোয়ার্জনেগারের মেসেজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মি. আলি অনেককেই সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছেন মেসেজ করে। অধিকাংশ মানুষ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টিকে ভালভাবে নিলেও কয়েকজন এর সমালোচনা করেছেন এই বলে যে বিষন্নতার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান মেসেজের মাধ্যমে হয় না। \"আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাওয়া অত্যন্ত অনুপ্রেরণার একটি বিষয় এবং ঐ মেসেজ পেয়ে জিমে যাওয়ার জন্য আমি দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ হই\", বলে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আলি। মি. আলি আরো বলেন, \"বিষন্নতার মত সমস্যা অবশ্যই এত সহজে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাকে হতাশা থেকে বের করার জন্য যে ধাক্কাটা দরকার ছিল, তা ঐ মেসেজ থেকে পেয়েছি আমি।\" রেডিট'এ মি. আলি ও অন্যান্যদের এই কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করে মি শোয়ার্জনেগার একটি ভিডিও মেসেজ পোস্ট করেন, যেই ভিডিওটি একটি জিমে রেকর্ড করা হয়। ভিডিওতে মি. শোয়ার্জনেগার বলেন, \"আলি যেভাবে বিষন্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের উৎসাহ ও সাহস দিচ্ছেন তা দেখে আমি গর্বিত।\" বিখ্যাত সিনেমা 'টার্মিনেটর টু' এর দারুণ জনপ্রিয় উক্তি 'আস্তা লা ভিস্তা' বলে ভিডিও শেষ করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কম খরচে সুখী হওয়ার নয়টি উপায় যে কারণে নিজের সন্তানকে অপহরণ করেছেন ব্রিটিশ এক নারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ছোট দলগুলোর বড় শর্ত", "doc2": "Arnold Schwarzenegger idman zalında Sosial şəbəkədə \"u/0770059834333178\" kodu altında yazışan Ali adlı istifadəçi Schwarzenegger-ə mesaj göndərərək, məşhur bodibilderdən ona ruhlandıcı bir mesaj göndərməyi xahiş edib. Ali izah edib ki, o, \"aylardır ki depressiya vəziyyətindədir\" və bu səbəbdən idman zalına getmir, məşq eləmir. \"Cənab Schwarzenegger, siz mənə deyə bilərsinizmi ki, tənbəlliyə necə üstün gəlib idman zalına gedim? And içirəm ki, mən dərhal qalxıb ora yollanacağam\", - Ali öz mesajında yazıb. \"Çarpayımda məyus halda uzanmışdım. Mesaj göndərmək qərarına gələndə üç ay idi ki, özümü ruhdan düşmüş kimi hiss edirdim\", - Kanadanın Quebec şəhərində yaşayan Ali BBC-yə deyib. Terminator rolunun ifaçısından cavab gələndə isə Ali gözlərinə inanmayıb. Ali üçün gözlənilməz olan cavabında Schwarzenegger ona \"hər dəfə bir addım ataraq\" depressiya vəziyyətindən çıxmağı məsləhət görüb. \"Sizə sərt söz demək niyyətim yoxdur. Və xahiş edirəm özünüzə qarşı sərt olmayın. Biz hamımız çətinliklərlə üzləşirik, uğursuzluqlarımız olur. Bəzən, həyat bizi sınağa çəkir. Lakin əsası odur ki, sən bütün bunların öhdəsindən gələ biləsən. Sadəcə bir addım at. Yataqdan qalx, məşq et, ya bayıra çıxıb hava al. Nəsə bir şey et. Hər dəfə bir addım at. Ümid edirəm ki, indi özünü yaxşı hiss edirsən və idman zalına qayıdacaqsan. Lakin özün-özünü töhmətləmə. Buna ehtiyac yoxdur. Bu, səni idman zalına yaxın etməyəcək. Və kömək istəməkdən də çəkinmə. Uğurlar sənə\", - Arnold Schwarzenegger öz cavabında Aliyə yazıb. Özünü Arnold Schwarzenegger-in böyük pərəstişkarı adlandıran Ali deyib ki, həmin cavabı oxuyandan sonra, yatağından qalxıb birbaşa idman zalına yollanıb. \"İnanlmaz hisslər keçirdim\", - o deyib. Bu yazışma Reddit şəbəkəsində dərhal populyarlıq qazanıb - Alinin Schwarzenegger ilə yazışması 70000 dəfədən çox baxılıb və bəyənilib. Schwarzenegger-in Aliyə ruhlandırıcı cavabı depressiya vəziyyətində olan digər istifadəçilər üçün də təsiredici olub. Həmin istifadəçilər şəbəkədə öz hissləri və əhvalatları ilə bölüşüblər, Ali isə onlara öz cavablarında ürək-dirək verib. Ali deyir ki, həmin adamlara mənəvi dəstək vermək Schwarzenegger ilə yazışma əhvalatının onun üçün ən gözəl hissəsi olub. Bu arada bəzi istifadəçilər qeyd ediblər ki, depressiya elə ciddi bir xəstəlikdir ki, onun öhdəsindən belə yüngül üsullarla gəlmək bu problemə ciddi yanaşma sayıla bilməz. Lakin Ali bu fikirləri bölüşmür. O qeyd edib ki, Schwarzenegger, şəxsən onun özünə böyük enerji və güc verib, həqiqətən də onu ruhlandırıb. Alinin digər istifadəçilərlə pozitiv ruhda yazışmasını görən Arnold Schwarzenegger isə şəbəkədə videomüraciətini də paylaşıb. Həmin videoda Schwarzenegger idman zalında yazdığı müraciətini səsləndirib. Schwarzenegger deyib ki, Alinin digər insanları \"ruhlandırmağa çalışdığına\" görə qürur hissi keçirir. Schwarzenegger öz videoçıxışını bu sözlərlə bitirir: \"Hasta la vista\". Bu cümlə ispanca \"görüşənədək\" deməkdir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47430664", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47481850", "doc1": "ছবিটি প্রতীকী আবার এটাও মনে হতে পারে যে, মানুষের মাঝে এই বৈচিত্র্য যদি রাজনৈতিক মতাদর্শকে ঘিরে হয়, তাহলে সেই ব্যাপারে আমরা উদার থাকি এবং অনেক সময়ই আমরা ভিন্ন রাজনৈতিক পটভূমি এবং দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। বিবিসি'র আন্তর্জাতিক ইপসোস মোরির জরিপ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী দশজনের মধ্যে মাত্র এক জনই বলে থাকেন যে তাদের প্রায় বেশিরভাগ বন্ধু-বান্ধব তাদের মতো একই রাজনৈতিক মতাদর্শের। অন্যদিকে অর্ধেকের বেশি মানুষ এটা মনে করে যে, তাদের থেকে আলাদা অন্য মতাদর্শের মানুষের কথা শোনাটাও গুরুত্বপূর্ণ, যদিওবা সেটা তাদের মতের সম্পূর্ণ বিপরীত হয়। আরও পড়তে পারেন:বন্ধু ছাড়া মানুষের জীবন কি খুব কঠিন? বন্ধু বানানোর ১০টি সহজ উপায় জেনে নিন যে ইহুদি বালিকা হিটলারের বন্ধু হয়েছিল সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। \"গবেষণায় দেখা যায় যে মানুষ আশাবাদী থাকতে পছন্দ করে; তারা এটা ভাবতে পছন্দ করে যে তারা বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সহনশীল।\" বলেছেন, ইপসোস মরির গ্লেন গটফ্রাইড, যিনি পুরো জরিপ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। নিজের চাইতে আলাদা অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলাটাকে বেশিরভাগ মানুষ খুব একটা জরুরি না ভাবলেও তারা নিয়মিতভাবে সেটা করে থাকে। মিস্টার গটফ্রাইড যোগ করে বলেন \"সমাজের জন্য আমরা যা ভাল মনে করি আর যেটা আমরা আসলে অনুশীলন করি তার মধ্যে একটা ফাঁক রয়েছে।\" সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। রাজনৈতিক বিভাজন ইপসোস মোরি ২৭টি দেশের ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন প্রায় ২০ হাজার মানুষের বন্ধুদল বা ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের ওপর জরিপ করে। যেখানে অধিকাংশই নিজেদের চাইতে ভিন্ন ধরণের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার প্রবণতা নিয়ে কথা বলেছে। জরিপ করা দেশগুলোয় পাঁচজন উত্তরদাতাদের মধ্যে দুইজন বলেছেন যে, তাদের বেশিরভাগ বন্ধু-বান্ধব কয়েকটি ইস্যুতে তাদের মতোই মতাদর্শ ও বিশ্বাস ধারণ করে থাকে। সেই বিষয়গুলোর মধ্য রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন (৪২%), ধর্ম (৩৮%), অভিবাসন (৩৮%) এবং নারীবাদ (৩৭%)। এখানে ব্র্যাকেটে শতাংশের হিসাবে একই মতের মানুষের হার বোঝানো হয়েছে। তবে, রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে এই শতাংশের হিসাব হ্রাস পায়। মার্কিন গবেষণা দল দ্য ডি-পোলারাইজেশন প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা অ্যালিসন গোল্ডসওয়ার্দি বলেছেন, \"মানুষ তাদের বন্ধুদলকে যতোটা রাজনৈতিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে করে আসলে তা নয়। এটা বের করা গুরুত্বপূর্ণ।\" এর আংশিক কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক বিভাজন প্রায়শই অন্যান্য সামাজিক বিভাজনের চাইতে বেশি সামনে আসে। \"উদাহরণস্বরূপ, মিস গোল্ডসওয়ার্দি বলেছেন, \"ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে একটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেখা করা যায়। যেটা কিনা জাতি, লিঙ্গ বা ধর্মের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয়না।\" ইপসোসের জরিপ করা ৮০% শতাংশের বেশি মানুষ তাদের সামাজিক চক্রে এই রাজনৈতিক বিভাজনের বিষয়টিকে ভালভাবে উপলব্ধি করে। এবং এই বিষয়টি ইতিবাচক বা ক্ষতিকারক কিনা সেটার প্রেক্ষিতে তারা আলাদা হয়ে যায়। যে দেশগুলিতে জরিপ করা হয়েছে, ৪০% শতাংশেরও বেশি মানুষ মনে করেন, রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে এখনকার সমাজ গত দুই দশকের চাইতে অনেক বেশি বিপদের মধ্যে আছে। অথচ মাত্র ১৪% এর বিপরীত ভেবে থাকেন। গটফ্রাইড বলেন, \"রাজনীতি মানুষের সামাজিক চক্রে এক ধরণের সমস্যা।\" সাধারণ মানুষের মতে, রাজনীতি আরও বিভেদ সৃষ্টি করছে এবং একজন মানুষের জীবনে বৈচিত্র্য সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। করার চাইতে বলা সহজ আন্তর্জাতিক ইপসোস মোরির জরিপে বেশিরভাগ মানুষ বলেছে তারা এমন ব্যবধানগুলোকে মেনে নিতে চায় যেটা কিনা তাদের সামাজিক বলয়ের বাঁধাগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সহায়তা করবে। উদাহরণস্বরূপ, অর্ধেক উত্তরদাতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, কেউ অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শের সাথে একমত পোষণ না করলেও সেই ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউই নিয়মিতভাবে এমনটা করেন না। উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জানিয়েছেন যে তারা সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের মতামতের বিরোধিতা করে এমন মানুষের সাথে কথা বলে থাকেন। ভিন্ন মতের মানুষের সাথে মাসে একবারেরও কম সময় কথা বলে থাকেন জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ২০% মানুষ। - এবং দশজনের মধ্যে একজন এমনটা কখনোই করেন না। পোস্ট-ট্রুথ অ্যান্ড ইন্টারনেটের উপর আরও একটি সাম্প্রতিক জরিপের প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়। যেখান থেকে জানা যায় যে, ৬৫% মানুষ মনে করেন যে সারা বিশ্বের অন্যান্য মানুষেরা তাদের নিজস্ব অনলাইন বলয়ে বাস করে, তবে কেবলমাত্র ৩৪% মানুষ তাদের এই বলয়ে বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। একসঙ্গে একইভাবে যাইহোক, যখন কেউ বোঝাতে চায় যে তাদের বন্ধুত্ব করার বিষয়টি অনেকাংশেই অন্যের রাজনৈতিক মতামতের ওপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে তাদের সামাজিক বলয়ে তেমন একটা বৈচিত্র্য দেখা যায়না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক বলেছে যে তাদের বেশিরভাগ বন্ধু জাতিগত-ভাবে (৫৬%) এবং বয়সের (৪৬%) ক্ষেত্রে তাদের মতো একই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণাটি আরেকটি বিষদ গবেষণার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়, যেখানে বলা হয়েছে, আমরা তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতে চাই যারা আমাদেরই মতো। শিক্ষা সম্পর্কে একই কথা বলা যেতে পারে: বিশ্বব্যাপী, একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একই ধরণের শিক্ষা অর্জনের সাথে সাথে মানুষের এই একই মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে ওঠে। তবে, আয়ের মাত্রায় এই মিল নাটকীয়ভাবে কমে যায়। শুধুমাত্র ৩০% উত্তরদাতারা বলেছেন যে তাদের বন্ধু মহলের বেশিরভাগই কাছাকাছি আয় করে থাকেন। জরিপে বলা হয়েছে আয়ের বৈষম্য, যেটা কিনা অনেকসময়ই শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত থাকে না, সেই বৈষম্য কখনও বন্ধুত্বের পথে কোনও বাধা তৈরি করে না বলে উঠে এসেছে জরিপটিতে। কিন্তু অ্যালিসন গোল্ডসওয়ার্দি একটি সতর্কতার কথাও বলেছেন, \"মানুষ তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়াতে তাদের আয়ের বিষয়টি সাধারণত আলোচনা করেনা। পাশাপাশি, মানুষ কত আয় করে সে সম্পর্কে সব সময় মিথ্যা বলে থাকে।\"", "doc2": "\"İpsos MORİ\" şirkəti 27 ölkədə internetə çıxışı olan 20 min insan arasında sorğu keçirib. Suallar dost seçmə prinsipləri və digər sosial qruplardakı fərqli mövqeli şəxslərə münasibət məsələlərini əhatə edib. Respondentlərin çoxu müxtəlif insanlarla dostluq etməyə hazır olduqlarını bildiriblər. Rəyi soruşulanların yarısı razılaşıb ki, hətta bəyənmədiyin fikirləri də dinləmək lazımdır. Amma məhz bu cür davrandığını bildirənlərin sayı az olub. Araşdırma qrupunun rəhbəri Glenn Gottfried deyir ki, \"bizim ictimaiyyətə faydalı hesab etdiyimiz şeylə gündəlik davranışlarımız arasında fərq var\". Sorğuya cəlb edilən ölkələr arasında Rusiya da var. \"İpsos MORİ\"-nin sosioloqları qeyd edirlər ki, bu ölkədə (o cümlədən, Türkiyə, Rumıniya, Serbiya, Braziliya, Kolumbiya, Meksika, Peru, Hindistan, Çin, Səudiyyə Ərəbistanı, Tailand və Cənubi Afrikada) sorğuya savadlı və nisbətən yüksək gəlirli şəhər əhalisi cəlb edilib. Sosioloqlar bu təbəqəni \"birinci sinif istehlakçılar\" qrupu adlandırır. Bu adamlar cəmiyyətin tipik nümayəndələri deyil. Bəs, insanlar nə deyirlər? Demək olar, bütün ölkələrdə respondentlərin beşindən üçü bildirib ki, dostlarının çoxu qlobal istiləşmə (42 faiz), din (38 faiz), immiqrasiya (38 faiz) və feminizm (37 faiz) barədə onlarla eyni fikirdədir. Amma siyasi mövqe ortaqlığında faizlər bu qədər yüksək deyil. Rəyi soruşulanların 35 faizdən çoxu bildirib ki, əks siyasi mövqeyə sahib insanlarla həftədə ən azı bir dəfə görüşür. 20 faizə yaxını bunu ayda bir dəfədən də az etdiyini deyib. On nəfərdən biri etiraf edib ki, elələriylə heç vaxt görüşmür. \"İpsos MORİ\"-nin saxta xəbərlər və internetdəki məlumatların düzgünlüyü ilə bağlı yeni araşdırmasının nəticələri də bu göstəricilərlə üst-üstə düşüb. Məlum olub ki, rəyi soruşulanların 65 faizi internetdən məlumat alan insanların \"informasiya qabarcığında\" yaşadığını düşünür, özünün də bu \"qabarcıqda\" olduğunu onların yalnız 34 faizi etiraf edib. Biz dostlarımızı olduqları kimi qəbul edirikmi? Bütün rəyi soruşulanların 56 faizi bildirib ki, dostlarının əksəriyyəti onlarla eyni etnik qrupdandır, 46 faizi isə qeyd edib ki, bütün dostlarıyla eyni yaşdadır. Bu, daha əvvəl əldə edilmiş sosial göstəriciləri təsdiqləyir - biz özümüzə bənzəyən adamlarla dostluq etməyə üstünlük veririk. Eyni şeyi təhsil səviyyəsi haqqında da demək olar: bütün dünyada biz öz dünyagörüşümüzə uyğun dostları məhz bizimlə eyni təhsil səviyyəsinə malik insanlar arasından seçirik. Amma gəlir səviyyəsi məsələsində faiz nisbəti kəskin azalır. Respondentlərin ancaq 30 faizinin gəliri əksər dostlarının gəlirləriylə eynidir. Beləliklə, araşdırma göstərir ki, daha çox yetkin yaşlarda yaranan və heç də həmişə təhsil səviyyəsindən asılı olmayan gəlir fərqləri dostluq münasibətlərinə mane olmur. Hərçənd Amerikanın \"The Depolarization Project\" (\"Depolarizasiya Layihəsi\") araşdırma qrupunun yaradıcısı Alison Goldsworthy bu tip cavablara ehtiyatla yanaşmağı tövsiyə edir: \"İnsanlar öz gəlirləri haqqında heç vaxt düzgün məlumat vermirlər. Dostları (onların qazancını) bilməyə bilərlər. Bəzi mədəniyyətlərdə belə şeyləri ictimai müzakirə etmirlər\". Dostlar vacib mövzularla bağlı eyni mövqedə olurlarmı? Rəyi soruşulanların üçdə birindən də azı bildirib ki, dostlarının çoxuyla eyni siyasi mövqedədir. Alison Goldsworthy deyir ki, insanlar dost çevrələrindəki siyasi mövqe fərqlərini əslində olduğundan daha böyük təsəvvür edirlər: \"Məsələn, irqi, dini və cinsi ayrı-seçkilikdən fərqli olaraq bir-birilərinin fərqli siyasi baxışlarına mənfi münasibət dost çevrəsində normal hesab olunur\". Respondentlərin 80 faizi dostlarının fərqli siyasi baxışlara malik olduqlarını bilsə də, bunun yaxşı, yoxsa pis olması barədə qəti fikrə sahib deyil. Sorğuda iştirak edənlərin təxminən üçdə biri müxtəlif fikirliliyi cəmiyyətin sağlamlıq göstəricisi sayır, 32 faizi isə bunu cəmiyyət üçün zərərli qütbləşmə kimi qiymətləndirir. Respondentlərin 40 faizindən çoxu həm də bu fikirdədir ki, siyasi baxışlardakı fərqlərə görə cəmiyyət 20 il əvvəlkindən daha böyük təhlükəylə qarşı-qarşıyadır, onların yalnız 14 faizi bunun əksini düşünür. Glenn Gottfried dost çevrəsində ən kəskin mövzunun siyasət olduğunu bildirir: \"Müasir dövrdə siyasi mənzərə dəyişir və insanlar başa düşürlər ki, nəticə etibarilə bu onlar arasında böyük fikir ayrılıqları yaradır\". Sosial şəbəkələrin rolu Sosial şəbəkələr cəmiyyət üçün faydalıdır, yoxsa zərərli? Bu məsələdə fikirlər müxtəlifdir. Sosial şəbəkələr baryerləri aradan qaldırmağa yardım edir, daha çox insana mövqe bildirmək fürsəti verir. Amma sorğunun nəticələri göstərir ki, \"Facebook\" və \"Twitter\" kimi platformaların fikir qütbləşmələrində rolu hissolunan səviyyədədir. Sorğu nəticələri dəqiqdirmi? Sorğunun nəticələri insanları \"əsir\" alan \"sosial qabarcıqların\" təbiətini aydınlaşdırmaq üçün yetərli deyil. \"İpsos MORİ\" şirkətinin 2018-ci ilin noyabr-dekabr aylarında keçirdiyi sorğu mövcud reallığın özünü yox, insanların onu necə qiymətləndirdiyini üzə çıxarıb. Başqa sözlə, məlum olub ki, onlar öz sosial çevrələrini olduğundan daha çoxçeşidli hesab edirlər. Üstəlik, sorğu yalnız internetə çıxışı olanlar arasında aparılıb. Respondent seçimi 27 ölkədən ancaq 15-ində əhatəli olub, yerdə qalan 12-sində (yuxarıda da qeyd edildiyi kimi) araşdırmaya gəliri orta göstəricidən yüksək olan şəhər əhalisi cəlb edilib, ona görə də sorğunun nəticələri ölkələrdəki tam mənzərəni əks etdirmir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49620602", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-49620244", "doc1": "দীর্ঘদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বজনের কাছে ফিরলেন একদল ইউক্রেনীয় পরস্পরের হাতে আটক থাকা প্রায় ৭০ জন জন বন্দি শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে এবং ইউক্রেনের কিয়েভ বিমান বন্দরে অবতরণ করেছেন। রাশিয়া যাদের ছেড়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্য ও চলচ্চিত্রকার আছেন। অন্যদিকে, ইউক্রেইন যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে যেমন আছেন সাংবাদিক এবং একজন ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ভলোদিমির জেমাখ, যাকে ২০১৪ সালে একটি মালয়েশীয় যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার জন্য দায়ী করা হয়। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির ইয়েলেনস্কি বলেছেন, মুক্তির আগে মি. জেমাখকে নিবিড়ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এতে দু:খ প্রকাশ করেছেন। মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বিমানটি নেদারল্যান্ডস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ভলোদিমির জেমাখ পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের একজন কমান্ডার, এবং ২০১৪ সালের ঘটনার ব্যাপারে তার সাথে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা কথা বলতে চান। ঐ ঘটনায় বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এবছরের গোড়ার দিকে ভলোদিমির জেমাখকে ইউক্রেইন আটক করে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ কেন ব্যর্থ হলো? আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী ইন্টারনেট থেকে কি বের হয়ে আসা সম্ভব? বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে এই বন্দি বিনিময়। কারণ ২০১৪ সাল থেকে সামরিক সংঘাত চলছে এ দুই দেশের মধ্যে । বিশেষ করে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু হয় - তার পর থেকে দু দেশের সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটেছে। এতে ইউক্রেনের ডোনিয়েৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে অন্তত ১৩,০০০ লোক মারা গেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়েলেনস্কি মনে করেন, এই বন্দি বিনিময় হতে পারে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের পথে প্রথম পদক্ষেপ। এপ্রিল মাসে নির্বাচিত হয়েই তিনি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করেছিলেন।", "doc2": "Dəyişdirilməsi planlaşdırılanlar arasında 24 ukraynalı dənizçi və 2014-cü il Malaysian Hava Yollarının vurulması ilə əlaqədar saxlanmış Volodimir Tsemax da var. Əsirlərin dəyişdirilməsinin iki ölkə arasında gərginliyi azaldacağına ümid edilir. Ukrayna və Rusiya arasında münasibətlər 2014-cü ildə Rusiyanın Krımı ilhaq etməsi və Ukraynanın şərqində Rusiyanın dəstəyi ilə baş tutmuş üsyandan sonra kəskin şəkildə pisləşməyə başlayıb. Ukraynanın şərqindəki Donetsk və Luhans regionlarında münaqişə nəticəsində 13 000-dən çox insan həlak olub. Volodimir Tsemax bu ilin əvvəli Ukraynanın şərqində separatçıların nəzarətində olan ərazidə ələ keçirilib Bu ilin aprel ayında Ukraynada seçilmiş yeni prezident Volodimir Zelenski bildirib ki, onun prioriteti münaqişəni sona çatdırmaqdır. Hər iki tərəfdən ümumilikdə 35 əsirin dəyişdiriləcəyi gözlənilir. Rusiyanın siyahısında keçən ilin noyabr ayında Krımda həbs edilmiş 24 ukraynalı dənizçi əsas təşkil edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52076760", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52076727", "doc1": "দু'মাস পর উহানের ট্রেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আবার যাত্রীদের ভিড় বলা হচ্ছে, শহরটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। লোকজনকে শহরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হলেও কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শহরের রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকেরা জানুয়ারি মাসের পর আত্মীয় স্বজনের সাথে এই প্রথম দেখা করতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। হুবেই প্রদেশের রাজধানী এই উহান শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এই রোগে হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ও নাটকীয় হারে কমে গেছে। শুক্রবার সারা দেশে মাত্র ৫৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের সবাই চীনের বাইরে থেকে এই ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন বলে বলা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উহান শহরে বন্যপ্রাণীর একটি বাজার থেকে আকস্মিকভাবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। এর প্রকোপ ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শহরটিকে শুধু চীন থেকে নয়, সারা বিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এর পর দু'মাসেরও বেশি এই এখানকার সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে কার্যত বন্দী হয়ে পড়ে শহরের এক কোটি দশ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। কিন্তু আজ থেকে শহরটি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ভারতে করোনাভাইরাস আসলে কত ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে? ধূমপায়ীদের কি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি? ভারতে যে লোকটি একাই 'সংক্রমিত করেছেন' ৪০ হাজার লোককে করোনাভাইরাস: ভেন্টিলেটর আসলে কী? এটা কেন জরুরি? শহরের ১৭টি ট্রেন স্টেশন এবং পাতাল রেলসহ অল্প কিছু যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। লোকজনকে শহরে আসতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ বের হতে পারছেন না। এজন্য তাদেরকে আরো দু'সপ্তাহ অর্থাৎ ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য শহরও বহির্বিশ্বের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন মাস পর উহানে ফিরে এসেছেন ১৯ বছর বয়সী ছাত্র গু লিয়াংকাই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, তিনি খুব খুশি কারণ পরিবারের সবার সঙ্গে তার আবার দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, \"সবাইকে আমি জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন যেহেতু খারাপ সময় যাচ্ছে - তাই আমরা ‌এ থেকে বিরত থাকছি।\" শুধু মাত্র তাদেরকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাদের মোবাইলের একটি অ্যাপে সবুজ রঙ দেখা যাচ্ছে। এই সঙ্কেতের অর্থ তিনি সুস্থ আছেন। বেইজিং থেকে বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, লোকজনকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া এবং বিদেশি নাগরিকদের চীনে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ- এরকম কঠোর পদক্ষেপের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?", "doc2": "Şənbə günü Uhan şəhərində təcrid rejimi bir qədər yumşaldılıb Şənbə günü Uhan dəmiryol stansiyasında sərnişinlər görüntülənib. Məlumatlara əsasən, insanlara şəhərə daxil olmaq icazəsi verilib. Hubey əyalətinin paytaxtı Uhan şəhərində 50 mindən çox adamda koronavirusa yoluxma hadisəsi qeydə alınmışdı. Hubeydə ən azı 3000 insan bu xəstəlikdən ölüb. Lakin Çin rəsmi statistik məlumatlarına görə, bu göstəricilər kəskin şəkildə aşağı düşüb. Şənbə günü yayılan məlumata əsasən, bir gün əvvəl 54 yeni yoluxma hadisəsi qeydə alınıb - və həmin hadisələrinin hamısının xaricdən gələnlərdə aşkar olunduğu bildirilib. Koronavirusun xaricdən ölkəyə gətirilməsinin qarşısı kəsmək üçün Çin bütün xarici qonaqlara, vizaları və ya yaşama icazələri olsa da belə, müvəqqəti olaraq ölkəyə daxil olmağə qadağan edib. Çin və xarici hava yollarının uçuşları da həftədə bir uçuşla məhdudlaşdırılıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52005868", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-52230602", "doc1": "বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ফেরিতে ওঠার আগে হাত পরিষ্কার করানো হচ্ছে যেভাবে দ্রুত এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা মানুষের মধ্যে এতটাই ভীতির সঞ্চার করেছে যে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক মাধ্যমে নানা উপদেশ পরামর্শ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং মানুষও মরীয়া হয়ে এসব পরামর্শ মানতে শুরু করেছে। কিন্তু এসব পরামর্শ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হচ্ছে না। বিবিসির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিভাগ 'রিয়ালিটি চেক' সংক্রমণ ঠেকানোর এরকম কয়েকটি দাবি পরীক্ষা করে দেখেছে। ১. নি:শ্বাস বন্ধ করে পরীক্ষা দাবি করা হচ্ছে আপনি যদি ১০ সেকেণ্ড নি:শ্বাস বন্ধ করে থাকেন এবং সেসময় যদি আপনি কোন কষ্ট অনুভব না করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুসে কোন ফাইব্রোসিস নেই। অর্থাৎ আপনার ফুসফুসের টিস্যু বা কলায় কোন ক্ষতি হয়নি, তা স্বাভাবিকের তুলনায় মোটা হয়ে যায় নি। সোজা কথায় আপনার ফুসফুসে সংক্রমণ নেই। এ তথ্য আদৌ সঠিক নয়। কারণ ফুসফুসে ফাইব্রোসিস হয়েছে কিনা তা নি:শ্বাস বন্ধ করে পরীক্ষা করা যায় না। হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে বসেই স্যানিটাইজার তৈরির প্রণালী ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে তাছাড়া, ফাইব্রোসিস কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোন উপসর্গ নয়। মনে রাখবেন কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত হলে তার প্রধান উপসর্গ হচ্ছে খুবই বেশি জ্বর এবং সঙ্গে একনাগাড়ে কাশি। ২. ঘরে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রণালী হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে বসেই স্যানিটাইজার তৈরির যেসব প্রণালী ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো থেকে সাবধান। কোন আসবাবপত্র বা টেবিল বা যেসব জিনিসে আপনি হাত দিচ্ছেন - সেগুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য মোছার যেসব বস্তু পাওয়া যায় সেগুলো আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ৩. জীবাণুনাশক ভডকা? ইন্টারনেটে এমন দাবি করা হচ্ছে যে মদ্যপানীয় 'ভডকা' জীবাণুনাশকের কাজ করবে। আদতেই তা নয়। ভডকা-তে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল নেই যা জীবাণু মারার জন্য প্রয়োজন। ৪. কোন কোন ক্ষেত্রেকরোনাভাইরাসের আয়ু এক মাস অনলাইনে ছড়ানো খবরে দাবি করা হচ্ছে কোন সারফেসের ওপর বা যে কোন জায়গার ওপর ভাইরাস এক মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকে। কোন কঠিন বস্তু থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ৭২ ঘন্টা পর ব্যাপকভাবে কমে যায়। এটা প্রায় অসম্ভব। কারণ, সার্স বা মার্স-এর মত করোনাভাইরাসে নিয়ে আগে যেসব গবেষণা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, কঠিন কোন জায়গার ওপর যেমন ধাতুর তৈরি, কাঁচ বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কোন সারফেসের ওপর করোনাভাইরাসের জীবাণু বেঁচে থাকে প্রায় দু ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ নয় দিন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সরকার বলেছে কোন কঠিন বস্তু স্পর্শ করলে যেমন টেবিলের ওপর, হ্যাণ্ড রেলিং বা এধরনের অন্য কিছু, সেখান থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি ৭২ ঘন্টা পর ব্যাপকভাবে কমে যায়। ৫. গোমূত্র পান ভারতে কিছু হিন্দু গোষ্ঠি মনে করে গোমূত্রের এমন কিছু চিকিৎসা গুণ রয়েছে যা করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গোমূত্রের এমন কোন গুণ নেই। গোমূত্র কোভিড নাইনটিন ঠেকাতে সক্ষম এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই তারা বলছেন গোমূত্র যেমন ক্যান্সার সারায় না, তেমনি গোমূত্র কোভিড নাইনটিন ঠেকাতে সক্ষম এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই। মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় সে বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাত ধোয়া বা পরস্পরের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার মত কিছু নির্দেশাবলী জারি করেছে। কাজেই সবচেয়ে ভাল পরামর্শ হলো: ভাল করে ঘন ঘন হাত ধোয়া, আর সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস", "doc2": "Koronavirusun əsas simptomlarından biri də qızdırmadır Koronavirusun simptomları hansılardır? Koronavirus ağciyərləri hədəfləyir. İki əsas simptom qızdırma və quru öskürəkdir, bəzən tənəffüs çətinliyi də yarana bilər. Hazırda həkimlər davamlı quru öskürəyə fikir verməyi tövsiyə edirlər. Belə öskürək bir saatdan artıq davam edir. 24 saat ərzində üç və ya daha çox öskürək epizodu ola bilər. Bədən temperaturu 37.8C yuxarı qalxarsa, qızdırma, üşütmə və ya titrətmə hiss edə bilərsiniz. Simptomlar arasında həmçinin, boğaz və baş ağrısı, ishal və iy və dad bilmə hissinin itirilməsi də qeyd olunur. Bu əlamətlər adətən 5 gün ərzində müşahidə edilir. Lakin bəzi hallarda simptomların üzə çıxması ləngiyə bilər. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) inkubasiya dövrünün 14 günə qədər davam etdiyini bildirir. İnsanlar xəstəxanaya nə vaxt getməlidirlər? Koronavirusa yoluxan insanların əksəriyyətində ağrıkəsicinin (parasetamol kimi) qəbulu və istirahətdən sonra sağalma başlayır. Müalicənin xəstəxanada keçirilməsinə ehtiyac tənəffüs çətinliyi ilə bağlı yarana bilər. Belə halda ağciyərləri skan edib onların hansı vəziyyətdə olduğunu gördükdən sonra, oksigen və ventilyasiya təyin edilə bilər. İnsanlar narahat olduqda birbaşa xəstəxananın təcili yardım bölməsinə getməkdən çəkinməlidirlər. Nazirlər Kabinetinin yanında Operativ Qərargahın brifinqlərin birində virusa yoluxduğunu düşünən şəxslərə təcili tibbi yardıma vaxtında müraciət etməyi məsləhət görüb. Tibbi Ərazi Bölmələrinin İdarəetmə Birliyi (TƏBİB) bildirib ki, koronavirusa yoluxmuş şəxsin xəstəxanaya göndərilib-göndərilməməsinə \"103 xidməti qərar verir\". \"103 xidmətinin əməkdaşları xəstənin vəziyyətini müayinə etdikdən sonra onun ağırlıq dərəcəsinə uyğun olaraq xəstənin evdə, yoxsa xəstəxanada müalicə olunacağını müəyyənləşdirirlər\", TƏBİB-in sözçüsü Rəvanə Əliyeva deyib. Reanimasiyada nə baş verir? Reanimasiya bölmələri xəstəliyi daha kəskin keçən pasiyentlər üçün xüsusi palatalardır. Koronavirus xəstələrinə burada ya üz maskası, ya da buruna yerləşdirilən boru vasitəsilə oksigen dəstəyi verilə bilər. Ən çətin prosedur isə ağır halda olan xəstələr üçün nəzərdə tutulub – onlar ağciyərlərin ventilyasiya aparatına qoşulur. Bunun üçün hava ilə oksigen qarışığı, ağız, burun borusu və ya boğazdakı kiçik bir kəsiklə ağciyərlərə ötürülür. Simptomlarım yüngül olarsa nə etməliyəm? Yüngül simptomları olan xəstələr ən azı yeddi gün ərzində özlərini evdə təcrid etməlidirlər. Vəziyyət narahatlıq doğurmursa, Britaniyada mənzillənən şəxslərə NHS-in 111 nömrəsinə zəng etməmək tövsiyə olunur. Həmçinin, həkiminizə və ya təcili yardım şöbələrinə getməkdən də çəkinməlisniz. Azərbaycan Nazirlər Kabineti yanında Operativ Qərargahın məlumatında deyilir ki, COVID-19-un yüngül əlamətləri olan insanların mütləq xəstəxanaya hospitalizasiyası və müalicəsi tələb olunmur, onlar müvafiq qərar verilərsə ev şəraitində də təcrid olunaraq müalicə oluna bilərlər. \"COVID-19-la bağlı ciddi xəstəlik riski olan insanlar hətta xəstəlik yüngül olsa belə, həkimə müraciət etməlidirlər\", Qərargah bildirir. Nazirlər Kabineti yanında Operativ Qərargahın rəsmisi Yaqut Qarayeva qurumun iyunun 20-də keçirilmiş brifinqdə bildirib ki, çox ağır simptomları yoxdursa, xəstələr evdə qalıb, müşahidə altında müalicə oluna bilərlər. \"Ancaq bir xəstədə artıq pnevmaniya inkişaf edirsə, bu COVİD-19-la əlaqəli ola da bilər, olmaya da, pnevmaniyadırsa, bu, daha çox xəstəxana şəraitində müalicə olunmalıdır,\"- o əlavə edib. Koronavirus nə qədər ölümcüldür? Xəstəliklə bağlı ölüm nisbət aşağıdır (1 ilə 2 faiz arasında) - ancaq rəqəmlər etibarsız ola bilər. Minlərlə xəstə müalicə olunsa da, daha sonra vəfat edə bilər və buna görə, ölüm statistikası artmış olacaq. Eynilə, bir çox yüngül keçən xəstəlik diaqnozsuz ötüşərsə, ölüm statistikası daha aşağı ola bilər. 56 min xəstənin məlumatını araşdıran Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) bunları göstərir: Özümü necə qoruyum? Ən yaxşısı, əllərinizi sabunla mütəmadi yumaqdır. Koronavirus infeksiyasına yoluxmuş şəxs öskürərkən və ya asqırarkən içində virus olan kiçicik damcılar havaya atılır. Bu damcılar nəfəslə içəriyə yol tapa bilər. Onların düşdüyü səthə toxunandan sonra əlinizi burun, göz və ya ağzınıza vurarkən infeksiyaya yoluxa bilərsiniz. Buna görə də, öskürərkən və ya asqırarkən ağzınıza salfet tutmaq, yuyulmamış əlinizlə üzə toxunmamaq və virusa yoluxmuş insanlardan aralı durmaq vacibdir. Koronavirus simptomları üzə çıxandan sonra o daha yoluxucu olur. Lakin bəziləri bundan əvvəl də virusu yaya bilər. Mütəxəssislərin fikrincə, üz maskaları effektiv qorunmanı təmin etmir. Bununla birlikdə ÜST, onlardan istifadənin ictimaiyyət üçün faydalı olub-olmadığını yenidən araşdırır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50516286", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-50643680", "doc1": "শিশুদের প্রতিদিন অন্তত একঘন্টা খেলাধূলা বা শরীরচর্চা করা দরকার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জরিপে বলা হচ্ছে, বিষয়টা এখন প্রায় মহামারীর রূপ নিয়েছে। কারণ যথেষ্ট শরীরচর্চার অভাবে শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, তাদের মস্তিস্কের বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং তাদের সামাজিক মেলা-মেশার দক্ষতা কমছে। তবে এই জরিপে অবাক করার মতো একটি তথ্য হচ্ছে, শারীরিক সক্রিয়তার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো। অর্থাৎ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার সমস্যা বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম। দিনে অন্তত একঘন্টা শরীরচর্চা বা কোন ধরণের খেলাধূলায় অংশ না নিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে 'শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা' বলে গণ্য করে। জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা (৯৭%) এবং ফিলিপাইনের ছেলেরা (৯৩%) হচ্ছে শারীরিকভাবে সবচেয়ে নিষ্ক্রিয়।, অন্যদিকে বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে এর হার ৬৬%। বৈশ্বিক সমস্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জরিপে বলা হয়, শিশুদের শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার এই সমস্যা আফগানিস্তান থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে- কম-বেশি সবদেশেই আছে। ১১ হতে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই যথেষ্ট শরীরচর্চা করছে না, খেলাধূলা করছে না। সমস্যাটা ধনী-গরীব সবদেশেই একই রকম। মোট ১৪৬ টি দেশের ওপর পরিচালিত জরিপে সেটাই দেখা যাচ্ছে। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা একটু বেশি সক্রিয়। . কী ধরণের খেলাধূলা বা শরীরচর্চাকে গোণায় ধরা হয়েছে যে কোন শারীরিক তৎপরতা, যাতে হৃৎস্পন্দন দ্রুততর হয় এবং ফুসফুসের মাধ্যমে আমাদের শ্বাস নিতে হয় ঘন ঘন, সেটাকেই হিসেবে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আছে: •দৌড়ানো •সাইকেল চালানো •সাঁতার কাটা •ফুটবল •লাফ দেয়া •স্কিপিং •জিমন্যাস্টিকস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট ধরে মধ্যম বা তীব্র মাত্রার শরীরচর্চা করা উচিৎ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড: ফিওনা বুল বলেন, \"এটিকে হাস্যকর টার্গেট বলে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে না, এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। সুস্বাস্থ্য এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।\" . মাঝারি এবং তীব্র মাত্রার শরীরচর্চার মধ্যে তফাৎটা হচ্ছে মাঝারি শরীরচর্চার মধ্যেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলা যায়, দম ফুরিয়ে যায় না। কিন্তু তীব্র শরীরচর্চার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস এত দ্রুত নিতে হয় যে তখন কথা বলা যায় না। কেন শরীরচর্চা করা দরকার মূল কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা। শুধু বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ সুস্বাস্থ্যের জন্যও এটা দরকার। স্বল্প মেয়াদে, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার মানে হচ্ছে: •হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসকে কর্মক্ষম রাখা •হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করা •মানসিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখা •ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা শিশুরা এখন বাইরে সময় কাটাচ্ছে অনেক কম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডঃ রেজিনা গুটহোল্ড বলেন, \"কেউ যদি কৈশোরে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে, এমন সম্ভাবনা প্রবল যে পরিণত বয়সেও তিনি সক্রিয় থাকবেন।\" আর কেউ যদি সারাজীবন এরকম সক্রিয় জীবন-যাপন করতে পারেন তাহলে তার হৃদরোগ, টাইপ-টু-ডায়াবেটিস হতে শুরু করে স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি অনেক কমবে। শুধু শরীর নয়, মস্তিস্কের বিকাশের সঙ্গেও এই শারীরিক সক্রিয়তার সম্পর্ক আছে বলে দেখতে পাচ্ছেন গবেষকরা। এ যুগের শিশুরা কি তাহলে অলস? এই জরিপের ফল দেখে কি এটাই মনে হয় না যে এখনকার শিশু-কিশোররা অনেক বেশি অলস? সুযোগে পেলে আমরা সবাই কি আসলে সোফায় বসেই সময় কাটিয়ে দিতে চাই? ডঃ বুল বলেন, শিশুরা আসলে অলস নয়। এই জরিপ আসলে আমাদের সবার ব্যাপারেই একটা সত্যের দিকে নির্দেশ করছে, এটা কেবল শিশুদের ব্যাপার নয়। আমরা সবাই আসলে এখন শারীরিক তৎপরতাকে গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছি, এটিকে অবহেলা করছি। পুরো দুনিয়া জুড়েই এটা ঘটছে। পড়াশোনায় অনেক সময় দিতে হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের, ফলে খেলাধূলা গুরুত্ব হারাচ্ছে। কী ঘটছে তাহলে কেন আমরা আগের মতো আর শারীরিকভাবে সক্রিয় নই, তার একক কোন কারণ নেই। এর বহুবিধ কারণ। একটা কারণ হচ্ছে, এখন শিশুদের শারীরিকভাবে ফিট রাখার চাইতে লেখাপড়ায় ভালো করাটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। \"৭ হতে ১১ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের ওপর পড়াশোনায় ভালো করার জন্য বেশ চাপ থাকে, পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয়\", বলছেন এই সমীক্ষায় জড়িত গবেষক লীন রাইলি। \"প্রায়শই তারা দিনের একটা দীর্ঘ সময় স্কুলে বসে কাটাচ্ছে, হোমওয়ার্ক করছে। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় থাকার কোন সুযোগ তারা পাচ্ছে না।\" আরেকটা সমস্যা হচ্ছে খেলাধূলা এবং অন্যান্য অবসর বিনোদন কার্যক্রমের সুবিধার অভাব। এগুলোতে সবার সমান সুযোগ নেই। নিরাপত্তার সমস্যাও আছে। রাস্তাঘাট যেহেতু নিরাপদ নয়, তাই সেখানে সাইকেল চালানো, হেঁটে কোন বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া- এগুলোও আর সেভাবে হয় না। আরেকটা বড় কারণ ডিজিটাল বিপ্লব। ফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটারে এখন ডিজিটাল গেম খেলার সুযোগ এত বেশি যে বাইরে গিয়ে খেলাধূলা করার চেয়ে এটা বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। ডিজিটাল বিপ্লব শিশুদের ঘরে বন্দী করে ফেলেছে, বাইরে খেলতে যাচ্ছে না তারা। ডঃ বুলের মতে, \"এখন নানা রকম বিনোদনের যে বিপুল সুযোগ-সুবিধা, তা অভূতপূর্ব। আগের কোন প্রজন্মের সঙ্গে এর তুলনাই চলে না।\" কোন দেশের অবস্থান কোথায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবদেশেই সমস্যাটা একই রকম। বাংলাদেশের অবস্থান যদিও সূচকে বেশ ভালো, তারপরও সেদেশেও ৬৬ শতাংশ শিশু প্রতিদিন এক ঘন্টা যে শরীরচর্চা বা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার কথা, সেটা করছে না। ফিলিপাইন আর দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যুক্তরাজ্যে ৭৫ শতাংশ ছেলে এবং ৮৫ শতাংশ মেয়ে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়, অর্থাৎ তারা দিনে এক ঘন্টা ব্যায়াম করছে না। বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন কানাডার ইস্টার্ন অন্টারিও শিশু হাসপাতালের ডঃ মার্ক ট্রেম্বলে বলছেন, \"ইলেকট্রনিক বিপ্লব মানুষের শারীরিক নড়াচড়ার ধরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। মানুষ এখন কোথায় কিভাবে থাকে, কিভাবে শেখে, কাজ করে, খেলে, বেড়াতে যায়—এই সব কিছুই বদলে গেছে। এখন মানুষ আরও বেশি করে ঘরে বন্দী হয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগ সময় কাটছে চেয়ারে।\" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্বাস্থ্য এবং সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধূলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। \"মানুষ ঘুমাচ্ছে কম, বসে থাকছে বেশি, হাঁটছে অনেক কম, গাড়ি চালাচ্ছে অনেক বেশি এবং আগের তুলনায় শারীরিক তৎপরতা কমে গেছে অনেক।\" রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়াট্রিক্স এন্ড চাইল্ড হেলথের অধ্যাপক রাসেল ভাইনার বলেন, এই গবেষণার ফল খুবই উদ্বেগজনক। \"যেসব শিশু শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় তাদের স্বাস্থ্যও ভালো এবং স্কুলেও তারা অনেক বেশি ভালো করছে।\" \"আমাদের উচিৎ শিশু এবং তরুণরা যাতে আরও বেশি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করে, আমাদের সেটা নিশ্চিত করা উচিৎ। তবে এটা বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন।\"", "doc2": "Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) bildirir ki, bu, uşaqların sağlamlığıyla yanaşı onların sosial bacarığı və beyin inkişafı üçün də zərərlidir. Təhlildə qeyd olunur ki, gündə tövsiyə olunan bir saatlıq məşqin edilməməsi zəngin və kasıb ölkələrdə ümumi bir problemə çevrilib. Ümumilikdə təhlil aparılmış 146 ölkədən dördü istisna olmaqla oğlanların fiziki aktivliyi qızlardan daha çox olub. Məşq necə olmalıdır ? Məşq zamanı ürəyin daha sürətli döyünməsi və ağciyərlərin nəfəs almasına səbəb olan hərəkətlər edilməlidir. Həmin fiziki hərəkətlilik aşağıdakı siyahıda göstərilənlərdən ibarət ola biilər: Hədəf gündə 60 dəqiqəlik asta başlayıb intensiv bitən hərəkətdir. ÜST əməkdaşı doktor Fiona Bull deyir ki, bu cür fiziki aktivlik \"sağlamlığı yaxşılaşdırmağa və möhkəmlətməyə imkan verir\". Orta templi və intensiv məşq arasında fərq ondadır ki, birinci halda məşq edərək söhbət etmək olursa, ikinci halda söhbət etməyə nəfəs çatmır. Narahat olmağa dəyərmi? Həm indi, həm də gələcək üçün əsas səbəb sağlamlıqdır. Qısa müddətdə fiziki aktivlik aşağıdakılara nail olmağa kömək edir: \"Yeniyetmə yaşlarında fiziki cəhətdən fəal olanların yaşlaşanda da aktiv qalması ehtimalı böyükdür\", - ÜST doktoru Regina Guthold deyir. Bütün ömür boyu aktiv qalmaq ürək xətəliklərindən tutmuş 2-ci tip diabetədək bir çox xəstəliklərin riskini azaltmağa kömək edir. Tədqiqatçıların qənaətincə, fiziki aktivlik beynin inkişafına da müsbət təsir göstərir. \"Beyinin öyrənmə funksiyası və insanların cəmiyyət mühitində davranışı yaxşılaşır\", - doktor Guthold qeyd edir. Uşaqlar tənbəllik edirmi? Əgər imkan tapan kimi biz divanda uzanmağa üstünlük veririksə, bu, bizim hamımız və uşaqlar barədə əsaslı nədənsə xəbər vermirmi? \"Uşaqlar tənbəl deyil, - doktor Bull deyir. - Bu bizə ümumi bir cəhətdən xəbər verir, lakin bu, uşaqlara aid deyil. Bu, laqeydlikdir və fiziki fəaliyyətə diqqət yetirməməyimizdən xəbər verir və göründüyü kimi, bütün dünyada geniş yayılıb\". Bəs onda nə baş verir? Fiziki aktivliyin niyə bu qədər aşağı olduğunu izah edən tək cavab yoxdur, lakin bəzi ümumi fikirlər var. Onlardan biri zehni fəaliyyətə fiziki aktivlikdən daha çox diqqət yetirilməsindədir. \"Bu yaş qrupuna aid olan yeniyətmələr dərs oxumağa, imtahana hazırlaşmağa daha çox diqqət yetirirlər, - hesabat müəlliflərindən biri Leanne Riley qeyd edir. - Uşaqlar günün çox hissəsini məktəbdə keçirirlər, fiziki aktivliyə isə imkan və vaxt qalmır\". Tədqiqatçılar idman və istirahət obyektlərinin təhlükəsiz, əlçatan və əlverişli olması ilə bağlı problemlərin olduğunu da deyirlər. Yolların təhlükəsiz olmaması velosiped sürməyin məktəbə və ya bir dostun evinə getmək variantlarının da problemli olduğundan xəbər verir. \"Bu təhlükəsizlik məsələləri əslində böyük bir problemdir\", - xanım Riley deyir. Kompüter oyunlarının geniş yayılması, mobil telefon, tablet və ya kompüterdə mövcud olan əyləncə aləmi - bütün bunlar bayırda vaxt keçirimə imkanlarını daraldan amillərdəndir. Doktor Bull \"əyləncələrin misli görünməmiş dərəcədə əlçatan olduğunu\" və əvvəlki nəsillərlə müqayisədə tamamilə fərqli bir miqyasda əyləncələrin əlçatan olduğunu söyləyib. Hansı ölkələrdə vəziyyət daha yaxşıdır? Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının hesabatında qeyd olunur ki, Əfqanıstandan Zimbabveyədək fiziki hərəkətsizlik universal bir problemə çevrilib. Tədqiqatın nəticələrinə görə, ən aşağı səviyyədə fiziki hərəkətsizlik Banqladeşin payına düşür, lakin hətta bu ölkədə də uşaqların 66 faizi (üçdə ikisi) gündə bir saat ərzində məşq etmir. Filippində oğlanlar (93%) və Cənubi Koreyada qızlar (97%) ən az fiziki fəallıq göstərən qruplara aid edilib, hesabatda qeyd olunub. İngiltərədə oğlanların 75 faizi və qızların 85 faizi fiziki hərəkətsizlik qruplarına aid edilib. Qızlar nə qədər geridə qalır? Araşdırmaya görə, yalnız dörd ölkədə - Tonqa, Samoa, Əfqanıstan və Zambiyada - qızlar oğlanlara nisbətən fiziki cəhətdən daha aktiv olublar. Qlobal miqyasda qızların 85 faizi və oğlanların 78 faizi olduqca az fiziki fəallıq göstərir. ABŞ və İrlandiya kimi ölkələrdə gender fərqi böyükdür. Araşdırmaya görə, hər iki ölkədə oğlanların 64 faizi və qızların 81 faizinin fiziki çəhətdən hərəkətsiz olduqları göstərilib. Qızlarla bağlı vəziyyət niyə fərqlidir? Bunun səbəbi bir deyil və ölkədən-ölkəyə dəyişir. \"Burada bəzi adət-ənənə amilləri də öz təsirini göstərir. Bəzi mədəniyyətlərdə, yeniyetmə qızlar oğlanlar qədər aktiv deyillər və onların fiziki aktivliyi alqışlanmır\", - xanım Riley deyir. Tədqiqatçılar həmçinin deyir ki, idmana qatılmağın yolları çox vaxt qızlarla müqayisədə oğlanlara daha çox hesablanır. Qızları isə idmanla məşğul olmağa inandırmaq üçün daha çox səyin göstərilməsi tələb olunur. Xanım Riley bunun üçün bəzən uyğun şəraitin də olmadığını qeyd edir. \"Çox vaxt qızların özlərini rahat hiss etməsi üçün idman obyektlərində ayrıca paltardəyişmə otaqları da olmur\", - o deyir. Vəziyyət yaxşılaşır və pisləşir? Vəziyyət yavaş-yavaş da olsa yaxşılaşır.. The Lancet jurnalınında dərc olunmuş araşdırmanın nəticələrinə əsasən, 2001-ci ildən bəri vəziyyət bir qədər dəyişib. Belə ki, 2001-2016 illər arası fiziki hərəkətsizlik indeksi oğlanlar arasında 80 faizdən 78 faizə düşüb, qızlarda isə 85 faiz səviyyəsində qalıb. Ekspertlər nə düşünür? Şərqi Ontario Tədqiqat İnstitutunun Uşaq Xəstəxanasından olan doktor Mark Tremblay deyir: \"Elektronikada inqilab insanların həyat tərzini və hərəkətliliyini fundamental şəkildə dəyişərək onları evlərinin içində, çox vaxt isə oturduqları yerlərində təcrid olunmuş vəziyyətə salıb\". \"İnsanlar daha az yatır, daha çox oturur, daha az-az yeriyir, daha tez-tez avtomobildə hərəkət edir, əvvəlkindən daha az fiziki hərəkətlər edirlər\". Kral Pediatriya və Uşaq Sağlamlığı Kollecinin prezidenti, professor Russell Viner, araşdırma nəticələrinin \"narahatedici\" olduğunu qeyd edib. \"Fiziki cəhətdən daha fəal olan uşaqlar daha sağlam olur, məktəbdə daha yaxşı oxuyurlar, - o deyir. - Uşaqların və gənclərin aktiv və sağlam həyat tərzi keçirmələrini asanlaşdırmalıyıq - bunu demək, yerinə yetirməkdən daha asandır\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50744013", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41143119", "doc1": "আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চি এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চালানো এক সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অং সান সু চি বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ''অসম্পূর্ণ এবং বেঠিক''। তার কথায়, ওই সেনা অভিযানের পেছনে গণহত্যা চালানোর অভিপ্রায়ের কোন প্রমাণ নেই। মিজ সু চি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সহজ নয়, এবং ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনাবলী শুরু হয়েছিল যখন স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে তিনি স্বীকার করেন, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রকমের শক্তি প্রয়োগ করে থাকতে পারে। মিজ সু চি আরো বলেন, যদি মিয়ানমারের সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিচার করা হবে। জাতিসংঘের আদালত কক্ষে অং সান সু চি বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: হেগের আদালতে শুনানি শুরু, রোহিঙ্গা শিবিরে দোয়া রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি গণহত্যার স্বীকৃতি দিন: সু চি'র উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ীরা তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। অং সান সু চি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রধান বাসভূমি রাখাইন প্রদেশে গোলযোগের ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর, এবং এ সংঘাতকে আরো গভীর করতে পারে এমন কিছু না করতে আইসিজে'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র গাম্বিয়ার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচি, এক সময় ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত ব্যক্তিত্ব - কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ভূমিকার কারণে সেই তিনিই বিশ্বের বহু দেশের নিন্দা ও ধিক্কারের পাত্র হন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিজ সু চিকে দেয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়। গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে মিজ সুচির হাজিরাকে তাই এক নাটকীয় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার আগমন উপলক্ষে দ্য হেগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ১৫ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে ৫০ বছর কাটালেন বিপিএলের বাণিজ্য: সফল নাকি ব্যর্থ যুক্তরাজ্য নির্বাচন: ইসলাম ও ইহুদি বিদ্বেষ যখন ইস্যু শাড়ি পরে নোবেল নিলেন এসথার, ধুতি পরে অভিজিৎ", "doc2": "Yanghee Lee deyib ki, Rakxaynda vəziyyət \"həqiqətən ağırdır\" və xanım Suu Kyi-nin \"işə qarışmaq\" vaxtıdır. Onun şərhi, BMT məlumatlarına əsasən, Banqladeşə pənah gətirmiş Rohinca müsəlman qaçqınlarının sayının 87 minə çatdığı dövrə təsadüf edib. Bu rəqəm, 2016-cı ilin oktyabrında Rakxayn ştatında baş verən hadisələrdən sonra qaçanların sayından daha çoxdur. Hər iki halda müsəlmanların qaçışı Rohinca silahlılarının polisə hücumundan sonra baş verib. Həmin hücumlardan sonra isə Myanma hərbiyyəsi rohincalara qarşı əməliyyatlar keçirib. Rohinca, öz dövlətinə malik olmayan və Myanmada sıxışdırılan müsəlman azlığıdır. Myanmadan qaçan rohincalar bildirir ki, Rakxayn ştatına qoşun qüvvələri və buddist güruhçular onların kəndlərini yandırır, mülki əhaliyə hücum edir. Peykdən çəkilən fotoşəkillərdə vilayətin şimal hissəsində çoxlu sayda yanğın ocaqları görünür. Human Rights Watch təşkilatı şəkil yayaraq bildirb ki, həmin şəkildə Rohinca kəndlərindən birində 700-dən çox evin yerlə yeksan oldunduğu əks olunub. Myanma hərbiyyəsi isə Rohinca silahlılarına qarşı əməliyyat keçirdiyini bildirib. Qadağalar səbəbindən müstəqil mənbələrdən hadisə yerində vəziyyətin necə olduğunu yoxlamaq olduqca çətindir. Su Kyi demokratyönlü fəaliyyətinə görə illər ərzində ev dustaqlığı şəraitində yaşayıb. Hazırda o, Myanma prezidenti deyil, lakin çoxları onu Myanma hökümətinin başçısı sayır. O, Myanma hərbiyyəsinə təsir edə bilmədiyinə görə tənqid olunub. Xanım Lee deyib ki, Suu Kyi çətin vəziyyətdədir, lakin bunu da əlavə edib ki, indi onun \"həmin vəziyyətdən çıxmaq vaxtı çatıb\". Region dövlətlərinin reaksiyası Cənub-Şərqi Asiyada müsəlman ölkələri rohincaların taleyindən narahatlıq bildirib, xəbərlərə görə, bəzi yerlərdə kiçik etiraz aksiyaları keçirilib. Bazar günü İndoneziya paytaxtı Cakartada Myanma səfirliyinə Molotov kokteyli atılıb, səfirlik qarşısında etiraz aksiyaları keçirilib. Bazar ertəsi İndoneziya Xarici İşlər naziri Retno Marsudi Myanma hərbi rəhbəri ilə görüşüb və ondan münaqişənin çözülməsinə səy göstərilməsini xahiş edib. Xanım Retno eləcə də Aung Suu Kyi ilə də görüşməyi planlaşdırır. On minlərlə Rohinca qaçqınlarının yaşadığı Malayziyada Baş nazir Nəcib Razak rohincaların düşdüyü \"dəhşətli vəziyyəti\" pisləyib. Maldiv adaları dövləti Myanma ilə bütün iqtisadi əlaqələri, rohincaların insan haqları bərpa olunana qədər, kəsib. Mərkəzi Asiyada Qırğızıstan Myanma ilə beynəlxalq futbol matçını təxirə salıb. Buna səbəb, güman edildiyinə görə, sosial mediada istifadəçilərin Myanma komandası əleyhinə etiraz aksiyası keçirmək planları olub. Banqladeş sərhədində vəziyyət Avqustun 25-də Myanmada ordunun rohincalara hücumu başladıqdan bəri, Rohinca ailələri şimal istiqamətinə doğru, sərhədə tərəf üz tutublar. Sərhəddən axan Naf çayını keçməyə çalışarkən onlarla adamın öldüyü xəbər verilir. Banqladeş sərhədçiləri qaçqınlara ölkəyə daxil olmağa imkan verib. Lakin hökümət qaçqınları dayandırmaq tərəfdarıdır, BBC müxbiri sərhəddən xəbər verir. Sərhədçilərdən biri AFP agentliyinə bildirib ki, son zamanlar qaçqınların sayı artmaqdadır. \"Belə davam etsə, ciddi problemlə üzləşəcəyik. Lakin bu axının qarşısını almaq mümkün deyil, insanlar hət tərəfdən gəlir\", - sərhədçi deyib. Bangladesh sərhədinə gələn Vivian Tan, BMT-nin qaçqınlar üzrə bölümü olan UNHCR-in rəsmisi, deyib ki, \"qaçqın düşərgələrinə gələn insanlar çox acınacaqlı vəziyyətdədir\". \"Bu insanlar, evlərindən çıxandan aclıq çəkir. Qadın və uşaqlar, o cümlədən yeni doğulmuş körpələr də, fiziki cəhətdən tükənmiş vəziyyətdədir. Onların sayı artmaqdadır və bu narahatlıq doğurur\", - UNCHR rəsmisi deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41008374", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41010188", "doc1": "এই তিন তালাক প্রথা ইসলাম ধর্মপালনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত নয় বলেও জানিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। পাঁচ সদস্যের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের দুই সদস্য আপাতত তিন তালাক প্রথা বন্ধ রেখে নির্দিষ্ট আইন তৈরির জন্য সরকারকে নির্দেশ দিলেও অন্য তিন বিচারক এই প্রথাকে সরাসরি অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। তাঁরা একে অ-ইসলামিক বলেও ঘোষণা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের রায়ই আদালতের রায় বলে গণ্য করা হবে। প্রধান বিচারপতি জে.এস খেহর এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ছয় মাসের জন্য তিন তালাক প্রথা বন্ধ রেখে সরকারকে সেই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাকি তিনজন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, রোহিন্টন এফ নারিম্যান এবং উদয় উমেশ ললিত - যেহেতু এই প্রথা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন, তাই এখন থেকে ভারতে তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ হয়ে গেল। সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্যরা তিনটি পৃথক রায় দেন - আলাদাভাবে নিজেদের রায় পড়ে শোনান আদালতে। ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ বেঞ্চ এই মামলার বিচার করেছে। তিন তালাক প্রথা ইসলাম ধর্মপালনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত কী না, সেই সাংবিধানিক প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছে এই বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ। একরকম নজিরবিহীনভাবে গরমের ছুটির মধ্যে এই মামলার একটানা শুনানি চালানো হয়েছে। যদিও বিচারপতিদের ধর্মীয় পরিচয় ভারতের আইন ও বিচারব্যবস্থায় আলাদা কোনো প্রভাব ফেলে না, তবুও এই পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চটিতে পাঁচ ভিন্ন ধর্মী বিচারক ছিলেন। একজন করে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, পার্শি ও হিন্দু ধর্মের বিচারক ছিলেন এখানে। তিন তালাক প্রথা নিয়ে ভারতে বিতর্ক অনেকদিনের। তবে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি মুসলিম নারী সংগঠন এবং কয়েকজন তালাক প্রাপ্ত মুসলিম নারীদের দায়ের করা মামলাগুলোর কারণে তিন তালাক প্রথা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ বিজেপি'র শীর্ষ নেতারা বারেবারেই তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড বলছে, একসঙ্গে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ শরিয়া বিরোধী। দীর্ঘদিন ধরেই সব ধর্মের মানুষের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানী বিধি প্রণয়নের পক্ষে বিজেপি। সায়রা বানো, আফরিন রহমান, গুলশান পারভিন, ইশরাত জাহান ও আতিয়া সাবরি নামের কয়েকজন তালাকপ্রাপ্ত নারী যেসব পৃথক মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে, সেগুলোকে একত্রিত করেই সাংবিধানিক বেঞ্চ এই বিশেষ মামলাটি হাতে নিয়েছিল। অনেকগুলো সংগঠন, সরকারি দপ্তর, জাতীয় নারী কমিশন ও অন্যান্য ব্যক্তিরা এই মামলায় অংশ নিয়েছিল। যদিও মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রথা নিয়ে এই মামলা। কিন্তু এক হিন্দু নারীর দায়ের করা একটি মামলা চলাকালীন এর সূত্রপাত হয়েছিল। আরো পড়ুন: নায়ক রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ ভারতে 'তিন তালাক' ব্যবস্থার ইতি ঘটানোর জন্য কিছু মুসলমান মহিলা আইনি লড়াই চালাচ্ছিল। কর্ণাটকের বাসিন্দা এক হিন্দু নারী তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি চলার সময়েই ওই নারীর বিরোধী পক্ষের আইনজীবী মন্তব্য করেছিলেন যে আদালতে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় নিয়মে এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলোও মুসলমান নারীদের অধিকার হরণ করে। ওই মন্তব্যের পরেই আদালত তিন তালাক নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা বলে। ভারত সরকার ও আইন কমিশনকে তিন তালাক প্রথা নিয়ে সমস্ত পক্ষের মতামত সংগ্রহ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরে ব্যাপকভাবে জনমত সংগ্রহ করে আইন কমিশন। আলোচনা চলে নানা মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে। তিন তালাকের পক্ষে - বিপক্ষে দু'ধরনের মতামতই প্রচুর সংখ্যায় জমা পড়ে। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডসহ যারা তিন তালাক প্রথার সমর্থন করেন, তাঁদের কথায় কোনো আদালতই এই প্রথা নিয়ে বিচার করতে পারে না। নিজস্ব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার যে অধিকার মুসলমানদের রয়েছে, তাতে কোনো আদালতই হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে তাঁদের মত। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড কয়েক লক্ষ মুসলমান নারীর সই করা পিটিশনও দাখিল করেছিল তাদের বক্তব্যের সমর্থনে। অন্যদিকে যেসব সংগঠনগুলো তিন তালাকের বিরুদ্ধে, তারা বলে থাকেন যে শরিয়ত অনুযায়ী যেভাবে তালাক হওয়ার কথা, তার যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হয়ে থাকে ভারতে। ভারতের 'তিন তালাকের' রীতি বাতিলের দাবিতে মহিলাদের বিক্ষোভ। (ফাইল ছবি) চিঠি বা ফোন করে অথবা সামাজিক মাধ্যমে তিনবার পর পর তালাক জানিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেওয়া হয় আর এক শ্রেণীর মৌলভি সেগুলোর অনুমোদনও দিয়ে দেন। চিঠি অথবা ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে তালাক দেওয়া কতটা গ্রাহ্য, তা নিয়েও ভারতের ইমামদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষেও রয়েছেন বহু মুসলমান নারী। কয়েক বছর আগে করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে দশটি রাজ্যে অধিকাংশ মুসলিম নারীই চান তিন তালাক প্রথা উঠে যাক। অন্যদিকে, ভারতে তিন-তালাকের বৈধতা নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছিল, সেসময় এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতের মুসলিম সমাজে তিন তালাক দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাস্তবে একেবারেই নামমাত্র, ১ শতাংশেরও কম। সমীক্ষাটি করেছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডিবেটস ইন ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিআরডিডিপি)। ১৬,৮৬০ জন মুসলিম পুরুষ এবং ৩৮১১ জন নারীর ওপর চালানো এই সমীক্ষাটি করা হয় চলতি বছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে। সমীক্ষাটির নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড: আবু সালেহ শরিফ, যিনি ২০০৬ সালে ভারতীয় মুসলিমদের অনগ্রসরতা এবং বঞ্চনা নিয়ে গঠিত 'সাচার কমিটি'র অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন। সমীক্ষায় ৩৩১টি মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এগুলোর এক-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (যেমন কাজি) জড়িত ছিল। তবে সমীক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে, ৩৩১টি ঘটনার মধ্যে কোনো সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়াই মুখে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ছিল মাত্র ১টি অর্থাৎ ০.৩ শতাংশ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন:", "doc2": "Bu qərar beş nəfərdən ibarət hakim heyətinin üç üzvü tərəfindən dəstəklənib. Hökmdə təcrübə \"qeyri-İslami\" kimi dəyərləndirilir. Hindistanda ər öz arvadını 3 dəfə \"talaq\" deməklə boşaya bilər. Bu qayda Hindistandan başqa cəmi bir neçə ölkədə mövcuddur. Mühüm məhkəmə hökmü \"üçlü talaq\" qaydasına qarşı petisiyalara cavab olaraq qəbul edilib. İddianı \"talaqla\" boşanmış beş qadın və iki hüquq müdafiə qrupu qaldırıb. \"Hindistanın müsəlman qadınları ötən 70 il ərzində əziyyət çəkib. Bu bizim üçün tarixi bir gündür, lakin məsələ burada bitmir\", məhkəmə iddiası qaldıranlar arasında olan Bharatiya Muslim Mahila Andolan kampaniya qrupunun fəalı Zakia Soman bildirib. Son zamanlar bir çox hindistanlı kişi talaq tələbini telefon, SMS, WhatsApp və Skype kimi müasir üsullarla çatdırır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54439048", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-54456742", "doc1": "লাচিন শহরের এই সেতুটির ওপর দফায় দফায় গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে ২৭শে সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই সংঘাত। আর্মেনিয়ায় কর্তৃপক্ষ বলছে, নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। আবার আজারবাইজানও বলছে যে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গাঞ্জাও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিবিসির রুশ বিভাগের কয়েকজন সাংবাদিক নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে ঢুকে সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সক্ষম হয়েছেন। এসময় তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এখানে তাদের দেওয়া বিবরণ তুলে ধরা হলো: আমরা লাচিন শহরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এই শহরটি নাগোর্নো-কারাবাখ ও আর্মেনিয়ার সীমান্তের কাছে। সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছে, সম্ভাব্য গোলাবর্ষণের ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী এই শহরের ব্রিজটির ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটি ধ্বংস করে দিয়ে তারা আর্মেনিয়া ও কারাবাখের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর্মেনিয়া থেকে কারাবাখে যাওয়ার জন্য আছে দুটো রাস্তা। উত্তরের রাস্তাটি গেছে লেক সেভানের তীর ধরে। এটি আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রিত এলাকার খুব কাছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এই রাস্তাটি বিচ্ছিন্ন। এটিকে বলা হয় 'লাচিন করিডোর' যা নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টকে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরাভানের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এটাই এই দুটো শহরের মধ্যে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। রবিবার সকালে আমরা স্টেপানাকার্ট অভিমুখে যাত্রা শুরু করি। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যেই সেতুটি ব্যবহারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যুদ্ধের কারণে বহু মানুষ শরণার্থী হয়ে পড়েছেন। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যারা কাজ করেন তারা নদীর অগভীর অংশে কাঁকর, নুড়ি, পাথর ফেলে দেয়, যাতে এর ওপর দিয়ে আপাতত গাড়ি চলাচল করতে পারে। গোলাবর্ষণ গাড়ি নিয়ে আমরা যখন লাচিন শহরের কেন্দ্রের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে থাকি, তখনই নতুন করে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। বিমান হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য এতো জোরে সাইরেন বাজানো হয় যে কান ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা। রাস্তা দিয়ে তখন একটি পুলিশের গাড়ি ছুটে যাচ্ছে, লাউডস্পিকারে কেউ একজন চিৎকার করে লোকজনকে বলছে যতো দ্রুত সম্ভব কোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। বিবিসির এই দলটির জন্য সেসময় সবচেয়ে কাছের শেল্টারটি ছিল একটি সুপারমার্কেটের মাটির নিচের সেলার। এই মার্কেটের মালিক নেলি নামের একজন মহিলা, যিনি ১৭ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে কাটিয়ে এখন তার নিজের বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। হোটেলের এই বেজমেন্ট শরণার্থীদের জন্য শেল্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: সেলারে দুটো কক্ষ। সেখানে রাখা হয়েছে টমেটোর বাক্স, চালের বস্তা, ব্র্যান্ডির বোতল এবং কয়েকটি কোদাল। আস্তে আস্তে সেলারটি লোকজনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো। তাদের মধ্যে স্থানীয় লোকজন যেমন আছে তেমনি আছে আমাদের মতো কিছু লোকও যারা লাচিনের ভেতর দিয়ে গাড়ি নিয়ে কোথাও যাচ্ছিল। এসব লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে স্টেপানাকার্ট থেকে পালিয়ে আসছিল। কিন্তু অন্যরা সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছিল। সুপারমার্কেটের মালিক নেলি সবাইকে কফি ও কিছু খাবার দিলেন। সেলারে বসেই তিনি সেগুলো তৈরি করেছেন। একজন শিল্পী ও এক যোদ্ধা পাকা চুলের হালকা পাতলা এক ব্যক্তি তখন বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার পরনে ওয়েস্টকোট এবং উলের কার্ডিগান। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম তিনি হয়তো আমাদের মতোই একজন সাংবাদিক। কিন্তু দেখা গেল তিনি আসলে একজন শিল্পী। তার নাম গ্রাচিক আর্মেনাকিয়ান। কারাবাখে প্রথম যখন যুদ্ধ হয় তখন তিনি একজন ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে তীব্র সংঘর্ষের শেষের দিকে তিনি বসবাস করতেন রাশিয়ার মস্কোতে। এই শিল্পী মনে করেন যুদ্ধ করার জন্য সামরিক বাহিনী লোকজনকে ডেকে পাঠাবে তাদের কোন অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও। এখন তিনি ইয়েরাভানে থাকেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ করতে আসার আগে এবিষয়ে তিনি তার বন্ধু বা পরিবারের মতামতও নেননি। \"তারা আমাকে বলতো দেখ, এটা তোমার কাজ নয়! তুমি কেন যাবে? বাড়িতে থাকো। আমি প্রত্যেককে বলেছি যে আমাকে কারাবাখে যেতে হবে এবং আমি আজ সকালেই বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি,\" তিনি আমাদের বললেন। আমরা তখন তার কাছে জানতে চাইলাম কেন তিনি নাগোর্নো-কারাবাখে যাচ্ছেন, তার পরিকল্পনা কী। তিনি তো আগে কখনো যুদ্ধ করেননি। তিনি কি সেখানে স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন? তিনি জবাব দিলেন: \"আমি মনে করি যে আমি গোলন্দাজ বাহিনীকে কিছু দিক-নির্দেশনা দিতে পারবো। আমরা শিল্পীরা জায়গা ও দূরত্ব সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখি।\" এই সড়কটি আর্মেনিয়া থেকে গেছে নাগোর্নো-কারাবাখে। আরো পড়তে পারেন: গ্রাচিকের কোন সামরিক দক্ষতা নেই। তবে তিনি আশা করছেন যুদ্ধে গেলে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি মনে করেন যে যুদ্ধে যেকোন ধরনের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হতে পারে নৈতিক, শারীরিক এমনকি তার ভাষায়, \"বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করাও।\" কারাবাখে ফেরা নাগোর্নো-কারাবাখে গিয়ে তার এই যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত পাগলামি মনে হলেও আমরা এরকম বহু আর্মেনীয়কে দেখেছি যারা সারা বিশ্ব থেকে মস্কো হয়ে কারাবাখে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কদিন আগেও ইয়েরাভান-মস্কো রুটে ছোট ছোট প্লেন চলাচল করতো। কিন্তু এখন বোয়িং ৭৭৭, যেগুলোতে করে সাধারণত পর্যটকরা আকর্ষণীয় জায়গা বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক কিম্বা থাইল্যান্ডে যান, সেরকম বড় বড় বিমানে করে আর্মেনীয়রা মস্কো থেকে কারাবাখে ফিরে যাচ্ছে। এই লাচিন শহরের ভেতর দিয়ে গেছে বিবিসির দল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পর্যটকদের এসব রুটে পরিবর্তন ঘটেছে। এখন যুদ্ধের কারণে সেসব আরো বেশি বদলে গেছে। এখন ৫০ ও ৬০ বছর বয়সী বহু পুরুষকে নাগোর্নো-কারাবাখগামী বিমানে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তাদের অনেকে এর আগেও এভাবে সেখানে ফিরে গেছেন- ৩০, ২০, এমনকী চার বছর আগেও। সতর্কতা লাচিন শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিনিধি গেভোর্গ এমনাতসাকান বলছেন কারাবাখের ভবিষ্যতের জন্য এই শহরটিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শহর নয়। \"সব শহরই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ,\" বলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত এই লাচিন শহরে বড় ধরনের গোলাবর্ষণ বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। গেভোর্গ এমনাতসাকান বলছেন নাগোর্নো-কারাবাখের জন্য সব শহর সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে কথাবার্তায় প্রায়ই হস্তক্ষেপ করছিল সামরিক পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি। যুদ্ধের শুরুতে সেনাবাহিনী চাইছিল সেখানে সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকুক, কিন্তু এখন তারা এবিষয়ে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করছে। তারা কোন ধরনের সরাসরি স্ট্রিমিং বা সম্প্রচার চায় না। তাদের দুশ্চিন্তা হলো সেরকম কিছু করা হলে ঠিক কোন জায়গায় সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হচ্ছে সেটি প্রকাশিত হয়ে পড়বে। তারা বললো যে শুধু সাদামাটা কিছু পেছনে রেখে আমরা ভিডিও করতে পারবো, কারণ তাহলে বোঝা যাবে না যে আমরা কোন জায়গায় আছি। শরণার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী এদিকে কখন গোলাবর্ষণ শেষ হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে সেলারে লোকজনের ভিড় বাড়তে লাগলো। সেখানে সব ধরনের লোকজন ছিল: স্টেপানাকার্ট থেকে আসা সাংবাদিক, আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী কিছু গ্রাম থেকে আসা শরণার্থী, এবং আরো কিছু লোক যারা যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য। কয়েকজন নারী কাঁদছে, তারা বাড়ি ঘর হারিয়ে ফেলেছে। অন্যরা শান্ত হয়ে চুপচাপ বসে আছে। আলাপ আলোচনা করছে কখন আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে সেবিষয়ে। সেলারের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে একদল লোক সিগারেট খাচ্ছিল। তারা এমন একটা ভান করছিল যে তারা মোটেও ভীত নয়। তারা বলছিল যদিও আমাদেরকে এখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে কিন্তু আসলে যেখানে বোমা ফেলা হচ্ছে সে জায়গাটি এখান থেকে অনেক দূরে। তাদের একথা বলা শেষ হতে না হতেই, খুব কাছে একটি বোমা বিস্ফোরিত হল। আর সকলের সঙ্গে তারাও তখন সেলারের ভেতরে লুকিয়ে পড়লো। শুসা শহর থেকে দেখা রাজধানী স্টেপানাকার্ট বার বার পালানো স্টেপানাকার্ট থেকে গাড়ি চালিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দূরে প্রাচীন শহর শুশা। নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্ট পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত কিন্তু শুশা শহরটি একটি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। এখানে এখনও তেমন একটা গোলাবর্ষণ করা হয়নি। কিন্তু হামলা চালানো হলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য কোন শেল্টার খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুশা শহরের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল। গত রবিবার সেখানে একটি গোলা আঘাত হেনেছে। নাগোর্নো-কারাবাখের স্বঘোষিত সরকার দাবি করেছে যে এই হামলায় সেদিন শুশা এবং স্টেপানাকার্টে কমপক্ষে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুশা শহর থেকে রাজধানী স্টেপানাকার্ট খুব ভালোভাবেই দেখা যায়। আমরা এখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভিডিও করি। যতক্ষণ আমরা সেখানে ছিলাম, সেখানে কোন গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আমরা জানি যে স্টেপানাকার্টে প্রতিদিন সকালে ও রাতে বিরামহীন বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। আমাদের চারজন সাংবাদিক সহকর্মী যারা স্টেপানাকার্টে ছিলেন তারা বলছেন, প্রতিদিনই অবস্থার অবনতি ঘটছে। শুশা শহরে যাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অনেক বৃদ্ধ, তারা আজারবাইজান সীমান্তের কাছের গ্রামগুলো থেকে এখানে এসেছেন। গোলাবর্ষণ এড়াতে সেলারে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন শরণার্থী। রায়া গেভরকিয়ান একজন রুশ শিক্ষক। তিনি বলেছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি একটি টেলিফোন কল পেয়েছেন এবং তখন তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। \"তারা চাচ্ছিল না বেসামরিক লোকজন যাতে কম মারা যায়। প্রায় ৫০ জনের মতো পালিয়ে এসেছে,\" তিনি আমাদের বললেন। তিনি জানান, ১৯৮৮ সালে তিনি আজারবাইজান ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে ১৯৯২ এবং ২০১৬ সালেও তাকে সাময়িকভাবে নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। এবার তিনি বাড়ি থেকে চতুর্থবারের মতো পালিয়ে এসেছেন। তার দুই ছেলে যুদ্ধের সামনের কাতারে এবং তিনি জানেন না যে তারা বেঁচে আছে কীনা, কারণ সন্তানদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। সেখানে আরেকজন শরণার্থী ছিলেন আইদা মেলকানিয়ান। তিনিও তার প্রিয়জনদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি জানান তার ১৮ বছর বয়সী ছেলেকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তার এক ভাই স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। আইদা বলছেন কয়েকদিন আগে তিনি তার ভাই এর কাছে শুনেছেন যে সে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল এবং এখন সে পায়ে হেঁটে স্টেপানাকার্টে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ সেখানে যাওয়ার কোন গাড়ি নেই। \"আমার ভাই বলেছে সে আহত হয়নি। কিন্তু আমি তার কণ্ঠ শুনে বুঝতে পারছিলাম যে তার কিছু একটা হয়েছে,\" বললেন তিনি। \"পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। কিন্তু বিশ্ব এখনও নিরব। এখন একবিংশ শতাব্দী এবং শান্তিপূর্ণ লোকজনের ওপর বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এটা খুবই অমানবিক,\" বলেন তিনি। লাচিন শহরে লোকজন ভবনের বেজমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছে। \"শুধু নিজেদের ওপর নির্ভর করতে পারি\" আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া কোন দেশই নাগোর্নো-কারাবাখকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। ইয়েরাভানে অস্বীকৃত এই এলাকাটির একজন প্রতিনিধি আছেন কিন্তু কোন দূতাবাস নেই। নাগোর্নো-কারাবাখের প্রতিনিধি সের্গেই গাজারিয়ান বলেছেন ফ্রন্ট লাইনে আজারবাইজান আধিপত্য বজায় রেখেছে তবে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম স্টেপানাকার্ট কি রাশিয়ার কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে? কোন সামরিক সাহায্য? জবাবে তার মুখে ক্লান্তিকর হাসি ফুটে উঠলো। \"আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না। কিসের জন্য এবং কতদিনের জন্য? আমরা শুধু আমাদের ওপরেই নির্ভর করতে পারি। যুদ্ধ যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, আপনাকে প্রথম আঘাত হানতে হবে। বাকু কয়েক মাস ধরে এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধ শুরু করার জন্য আর্মেনিয়ার দিক থেকে কোন কারণ নেই,\" বলেন তিনি। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা যাচ্ছে তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে। তুরস্ক অনেক শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তি এবং আজারবাইজানের সঙ্গে তাদের জাতিগত ও ভাষাগত সম্পর্ক রয়েছে। অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং ওএসসিই শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। কিন্তু এবার তুরস্ক এবং আজারবাইজান বলছে, নাগোর্নো-কারাবাখে, তাদের ভাষায়, আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বের অবসান ঘটলেই কেবল এই শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। তাদের আরো দাবি: অস্বীকৃত এই প্রজাতন্ত্রসহ আর্মেনিয়ার বাহিনীকেও ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক আইনে আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত।", "doc2": "BBC müasir Qarabağ münaqişəsinin təxminən 30 illik tarixinə və onun ətrafında baş verənlərə nəzər salıb. Münaqişə necə başlayıb? Ermənistan və Azərbaycan niyə qarşı-qarşıya gəlib? Müasir qarşıdurmanın tarixi 1980-ci illərdən, o vaxt SSRİ-nin baş katibi olmuş Mixail Qorbaçovun yenidənqurması və SSRİ-də yaşayan xalqlar arasında milli identifikasiya ideyalarının artan populyarlığı ilə başlayır. Dağlıq Qarabağ Muxtar Vilayəti Azərbaycan SSR-in bir hissəsi idi, lakin orada, əsasən ermənilər yaşayırdı. 1980-ci illərin sonlarında ermənilər SSRİ rəhbərliyinə müraciət edərək, onları Ermənistan SSR-in yurisdiksiyasına keçirilmələrini xahiş etdilər. Yerli ermənilərin Ermənistana birləşmək hərəkatı Azərbaycanda emosiyaların coşmasına səbəb oldu. İki icmanın nümayəndələri arasındakı toqquşmalar tezliklə Ermənistan SSR-də yaşayan azərbaycanlıların ordan çıxmasına səbəb oldu, bunun ardınca isə 1988-ci ilin fevralında Azərbaycanın Sumqayıt şəhərində erməni poqromları baş verdi. SSRİ hökuməti məsələni güc yolu ilə həll etməyə çalışdı, ancaq Ermənistan və Azərbaycanda milli hərəkat təmsilçilərinin həbsi yalnız onların əhali arasındakı dəstəyini və iki respublika arasındakı düşmənçiliyi artırdı. 1990-cı ilin yanvarında Bakının erməni əhalisinə hücum oldu və yanvarın 20-də Sovet ordu birləşmələri Azərbaycanın paytaxtına girdi, yüzlərlə dinc sakin öldürüldü, yaralandı və ya itkin düşdü. 1991-ci ildə Sovet İttifaqının dağılması ilə Qarabağ uğrunda mübarizə yeni bir mərhələyə qədəm qoydu: tərəflər SSRİ ordusunun qoyub getdiyi silahlardan istifadə etmək imkanını əldə etdi. Xüsusilə şiddətli döyüşlər 1992-1993-cü illərə təsadüf edib: hər iki tərəf böyük itkilər verib. Bu müddət ərzində münaqişənin müəyyən epizodlarına müharibə cinayətləri kimi qiymət verilir. Xüsusilə, bu, 1992-ci ilin fevralında mühasirəyə alınan, Azərbaycanın Xocalı şəhərindən olan mülki əhalinin erməni qüvvələri tərəfindən kütləvi öldürülməsilə bağlıdır: Azərbaycanın rəsmi məlumatlarına görə, o zaman 600-dən çox qoca, qadın və uşaq ölüb. Beynəlxalq ictimaiyyətin mövqeyi nə idi? Qarabağdakı münaqişə BMT-də dəfələrlə müzakirə edilib. 1993-94-cü illərdə BMT Təhlükəsizlik Şurası Ermənistan qoşunlarının Azərbaycan ərazisindən çıxarılmasını, Azərbaycanın ərazi bütövlüyünü dəstəkləyən dörd qətnamə qəbul edib, amma onların heç biri yerinə yetirilməyib. Tərəfləri danışıqlar masasına gətirmək cəhdləri fərqli səviyyələrdə edilib. Ancaq hər dəfə Ermənistanda və ya Azərbaycanda liderlər dəyişəndə danışıqlara yenidən başlamaq lazım gəlib. Danışıqlar Rusiya, ABŞ və Fransanın həmsədrliyi ilə ATƏT-in Minsk Qrupu tərəfindən aparılıb: bu qurum 1992-ci ilin martında Minskdə keçirilən Avropa Təhlükəsizlik və Əməkdaşlıq Təşkilatının (ATƏT) konfransında yaradılıb. 1994-cü ilin mayında vasitəçilər Qarabağda atəşkəsə nail ola bildilər. Həmin dövrdə muxtar vilayətin ərazisi və ona bitişik yeddi rayon erməni qüvvələrinin nəzarəti altında idi. O vaxtdan bəri davam edən görüşlər və danışıqlar heç bir nəticəyə gətirib çıxarmayıb. Tərəflər 2001-ci ildə Azərbaycan və Ermənistan prezidentlərinin ABŞ-ın Key West şəhərində təşkil olunan görüşdə sülh sazişini imzalamağa çox yaxın olublar. Ancaq son anda müqavilənin imzalanması baş tutmayıb. \"Dağlıq Qarabağ Respublikası\" nə vəziyyətdədir? Erməni icması 1991-ci ildə münaqişəyə səbəb olmuş ərazidə \"Dağlıq Qarabağ Respublikası\" (\"DQR\" - ermənilər, eləcə də \"Artsax\" deyir) elan edib, amma bu ərazi dövlət kimi tanınmayıb. Rəsmi Bakı bu ərazilərin işğal edildiyini bəyan edib. Rəsmi Yerevan \"DQR\"-in müstəqilliyini rəsmən tanımır, lakin özünü onun təhlükəsizliyinin qarantı adlandırır, \"respublika\"nın büdcəsi və ordusu isə Ermənistanla sıx bağlıdır. \"DQR\" mütəmadi olaraq seçkilər keçirir, lakin onların nəticələrini dünyada heç bir dövlət tanımır. Tanınmamış \"respublika\"nın sakinləri Ermənistan pasportlarından istifadə edirlər. Bura telefon zəngləri Ermənistan kodu ilə edilir. Son vaxtlara qədər atəşkəs necə təmin olunurdu? Təmas xəttində davamlı olaraq təxribat qruplarının, pilotsuz təyyarələrin iştirakı ilə lokal döyüşlər baş verib, atışmalar olub. Ən ciddi toqquşma 2016-cı ilin aprelində baş verib, hər iki tərəfdən onlarla əsgərin ölümü ilə nəticələnib. Dörd gün davam etmiş döyüşlər iki ölkənin baş qərargahlarının nümayəndələri Moskvada atəşkəs barədə razılığa gəldikdən sonra dayanıb. 2020-ci ilin iyul ayında Qarabağda deyil, Ermənistan və Azərbaycan arasında beynəlxalq sərhəddə toqquşmalar baş verib. Rusiya baş nazirinin Yerəvana və Bakıya getdiyi 2016-cı il eskalasiyasından fərqli olaraq, iyul toqquşmaları iki tərəfi bir araya gətirmək üçün böyük beynəlxalq səylərin göstərilməsinə səbəb olmadı. Türkiyənin Qarabağ münaqişəsi ilə nə əlaqəsi var? Ermənistan üçün Türkiyə ilə münasibətlər ən ağrılı tarixi məsələlərdən biri olaraq qalır. 1915-ci ildə Birinci Dünya Müharibəsi zamanı Osmanlı İmperiyası Şərqi Anadoludakı erməni partizan hərəkatına qarşı genişmiqyaslı əməliyyat keçirirdi. Nəticədə bölgənin demək olar ki, bir çox erməni didərgin düşdü, yüz minlərlə (erməni mənbələrinə görə, 1,5 milyon) insan öldü. 1915-ci il hadisələri dünyanın bəzi ölkələrinin parlamentləri tərəfindən soyqırım kimi tanınıb. Türkiyə tarixi hadisələrə bu cür qiymətin verilməsi ilə razılaşmır. Türkiyə və Azərbaycan xalqlarını yaxın tarixi və mədəni əlaqələr birləşdirir, onlar eyni linqvistik qrupdan olan dillərdə danışırlar. Siyasi nöqteyi nəzərdən, Türkiyə hər zaman Azərbaycanı dəstəkləyib - xüsusilə SSRİ-nin dağılmasından sonra. Türkiyə Ermənistanla sərhədləri bağlayıb, iki ölkə arasındakı diplomatik münasibətlər kəsilib. 2008-2009-cu illərdə iki ölkənin liderləri münasibətləri normallaşdırmağa çalışdılar, lakin rəsmi Bakı kəskin şəkildə buna qarşı çıxdı, Ermənistanda kütləvi etiraz aksiyaları baş verdi və nəticədə yaxınlaşma alınmadı. Lakin bütün münaqişə dövrü ərzində Türkiyə ilk dəfədir ki, Azərbaycana bu qədər fəal şəkildə dəstək verir. Bəs İran? İran kifayət qədər praqmatik mövqe tutur. Bu, bölgədə Ermənistanı dəstəkləyən yeganə (Rusiyadan sonra) ölkədir. İranda - əsasən ölkənin şimalında, Azərbaycan və Ermənistan sərhədləri yaxınlığında çox sayda etnik azərbaycanlı yaşayır. İran hakimiyyəti onların arasında separatçı münasibətlərin yarana biləcəyi ehtimalından narahatdır. Ermənistan Qarabağ münaqişəsi nəticəsində Azərbaycan və Türkiyə tərəfindən bloklanıb, Gürcüstan ərazisindən nəqliyyat əlaqəsi isə kifayət qədər məhduddur. İran sərhədi Ermənistan üçün müharibə dövründə iqtisadiyyatının dəstəklənməsi üçün vacib bir amilə çevrilib. Rusiyanın mövqeyi nədir? Rusiyanı Ermənistan və Azərbaycanla çoxəsrlik bir tarix bağlayır, amma indi hər şey daha qəlizdir. Məsələ burasındadır ki, Rusiya ATƏT-in Minsk Qrupunun həmsədridir və vasitəçi olaraq hər iki tərəfi də dinləməlidir. Rusiya Ermənistana və Azərbaycana milyardlarla dollarlıq silah satır. Rusiya şirkətləri Ermənistanda böyük iqtisadi aktivlərə sahibdir. Ermənistan ərazisində böyük bir Rusiya hərbi bazası var. Çox sayda Ermənistan vətəndaşı Rusiyada işləyib pul qazanır. Bir çox Azərbaycan vətəndaşı da Rusiyada işləyir. Rusiya biznesi Azərbaycanın neft sənayesinə sərmayə qoyub. Ölkənin özündə rus mənşəli vətəndaşlar kifayət qədər çoxdur. Bu səbəbdən güman olunduğu kimi, Rusiya birmənalı mövqe tutmur və nə Bakıya, nə də Yerevana birmənalı dəstək göstərmir. Münaqişə niyə məhz indi yeni intensivliklə alovlanıb? Qafqaz üzrə mütəxəssislər buna bir çox faktorun təsir göstərdiyini düşünürlər. Bunlardan bəzilərinə nəzər salaq. Azərbaycanın bu gün Ermənistan üzərində hərbi üstünlüyü mövcuddur və o qərara gəlib ki, nə qədər ki, belə bir üstünlük var, münaqişə bölgəsində vəziyyəti dəyişmək üçün ondan istifadə olunsun və Ermənistanla danışıqlar apararkən 1994-cü ildə müharibədə uduzan tərəf kimi zəif mövqedən deyil, daha güclü mövqedən çıxış edə bilsin. Azərbaycan bəyan edib ki, erməni qüvvələri işğal etdiyi torpaqlardan çıxana qədər döyüşləri dayandırmayacaq. Ankaranın Suriya və Liviyadakı münaqişələrə uğurlu müdaxiləsindən sonra bölgədəki təsiri kəskin şəkildə artan Türkiyənin birbaşa dəstəyi Azərbaycan rəhbərliyinə uğur qazanmağın mümkünlüyünə inamını arıtıb. Dünyanın aparıcı fövqəldövlətləri koronavirus böhranı ilə məşğuldurlar. ABŞ-da, hər şeyə əlavə olaraq, siyasi rəhbərliyin əsas diqqəti prezident seçkiləri məsələsinə yönəlib. Dünya iqtisadiyyatı uzun bir böhrana doğru hərəkət edir və Azərbaycan büdcəsi üçün əsas pul mənbəyi olan neft qiymətləri indiki səviyyədə qalması çətin görünür. Bu isə o deməkdir ki, gələcəkdə ölkənin hərbi potensialını gücləndirmək üçün maliyyə imkanları məhdud ola bilər. Nəhayət bir çox ekspertlər Qarabağın dağlıq ərazi olduğuna diqqəti çəkir. Burada qış düşəndən sonra hərbi texnikanı hərəkət etdirmək daha çətin olacaq və buna görə də, nə qədər ki, yolları qar örtməyib, əməliyyatları keçirib başa çatdırmaq lazımdır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50797621", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-50707802", "doc1": "গত ২০ বছরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক সংকট যেমন তৈরি হয়েছে তেমনি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসর অর্থাৎ বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি'র একজন এজেন্ট ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৯৯৯ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর তিনি যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন। গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটেনের পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করেছেন। বৈশ্বিক সংঘাত, দেশের অভ্যন্তরে নানা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে খেলাধুলার আসর আয়োজন এবং নিজের প্রচারণার জন্য নানা ছবি - এ সবকিছুই আছে মি: পুতিনের এই ২০ বছরে। তাঁর ক্ষমতার ২০ বছরে সেসব দিকে দৃষ্টি দিয়েছে বিবিসি। আরো পড়ুন: উদারপন্থা 'অচল' হয়ে পড়েছে: পুতিন কেন র‍্যাপ সঙ্গীতের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান পুতিন ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ১৯৯৯ সালের অগাস্ট মাসে ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। বরিস ইয়েলেতসিনের বিদায়ের পর ৩১ শে ডিসেম্বর মি: পুতিন প্রেসিডেন্ট হন। কেজিবি'র সাবেক এ কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালে যখন ক্ষমতাসীন হলেন তখন দ্বিতীয়বারের মতো চেচনিয়া যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। কিছু এপার্টমেন্টে বোমা হামলার জবাবে সে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মি: পুতিনের সূচনা হয়েছিল রাশিয়ার অস্থির দক্ষিণাঞ্চলে সংঘাতের মধ্য দিয়ে। চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি অবরোধ করে রাখে রাশিয়ার সৈন্যরা। ২০০৩ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে গ্রোজনিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ২০০০ সালের মার্চ মাসে মি: পুতিন চেচনিয়া সফর করেন। এরপর কয়েক বছর ধরে জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত হয় রাশিয়া। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ২০০৪ সালে বেসলান স্কুলে হামলা, যেখানে ৩৩০ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু। ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পুতিন চেচনিয়াতে যুদ্ধ শেষ করেননি। ২০০০ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো সে পদে আসীন হন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি ইমেজ সংকটে পড়েন। ২০০৪ সালে বেসলাস স্কুলে হামলায় নিহতদের প্রতি শোক করতে রাশিয়ার মন্ত্রীসভা এক মিনিট নিরবতা পালন করে। কার্স্ক সাবমেরিন বিপর্যয়ে ১১৮ জন নাবিক মারা যায়। ২০০০ সালের অগাস্ট মাসে যখন কার্স্ক সাবমেরিন বিপর্যয় ঘটে তখন নিহত নাবিকদের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগে। তখন মি: পুতিন তখন অবকাশ যাপনে কৃষ্ণ সাগরে ছিলেন। কিন্তু সাবমেরিন বিপর্যয়ের পর প্রথমদিকে তিনি অবকাশ যাপন থেকে ফিরে আসেননি। কার্স্ক সাবমেরিন কমান্ডারের পরিবারের সাথে দেখা করেন মি: পুতিন। ক্ষমতার প্রথম দশকে মি: পুতিনের সাথে পশ্চিমা নেতাদের সম্পর্ক ভালোই ছিল। যদিও তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতির সমালোচক ছিলেন। ২০০৬ সালে রাশিয়া প্রথমবারের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট 'জি এইট' সম্মেলনের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে সে জোটে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিও ঘটে। ২০০১ সালে ভ্লাদিমির পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী মি: পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরপর তিন মেয়াদে থাকতে পারতেন না। সেজন্য ২০০৮ সালে তিনি চার বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন দিমিত্রি মেদভেদেভ। কিন্তু অনেকে মনে করতেন, মি: মেদভেদেভ ছিলেন মি: পুতিনের হাতের পুতুল। ২০০৩ সালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লোসকুনি রাশিয়া সফর করেন। সে সফরে ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ ২০০৩ সালে মি: পুতিনকে ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানান। ১৮৭৪ সালের পর সেটাই ছিল রাশিয়ার কোন নেতার ব্রিটেন সফর। ২০০৬ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত জি এইট সামিটে জর্জিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সাউথ ওশেটিয়া অঞ্চলের কর্তৃত্ব ফিরে পাবার জন্য ২০০৮ সালে জর্জিয়া যখন সেখানে সৈন্য পাঠায়, তখন রাশিয়া জর্জিয়ার ভেতরে আক্রমণ করে। স্বল্প সময়ের যুদ্ধ ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য মি: পুতিন সম্পর্কে একটি সতর্কবার্তা। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ করে তখন পশ্চিমা নেতাদের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে নেবার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উপর অবরোধ আরোপ করে। এছাড়া শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন 'জি এইট' থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। জর্জিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হলে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আহতদের দেখতে যান মি: পুতিন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হবার চার বছর পরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে রক্ষার জন্য রাশিয়া সে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে। তখন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ প্রায় পতনের মুখে চলে গিয়েছিলেন। সিরিয়াতে রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান এবং সরঞ্জাম পাঠানোর কারণে সেখানকার ভারসাম্য বদলে যায়। মি: পুতিন যখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দেয়া শুরু করেন, তখন সিরিয়ার যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে যায়। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলে যে, দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। ২০১৮ সালে রাশিয়ার সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সার্গেই স্ক্রিপালকে ব্রিটেনের মাটিতে বিষ প্রয়োগে হত্যার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে ব্রিটেন। মার্কিন গোয়েন্দারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। সার্গেই স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর ব্রিটেনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'র সাথে সম্পর্ক শীতল হয়। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করার পর দেশের ভেতরে মি: পুতিনের জনসমর্থন বাড়ে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে মি: পুতিন ক্রাইমিয়ায় মোটর সাইকেল র‍্যালিতে অংশ নেন। এটিকে সার্বভৈৗমত্বের লংঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পাঁচ বছর পর এ মাসে আলোচনা শুরু হয়। ক্ষমতায় থাকার পুরো সময় জুড়ে মি: পুতিন তাঁর নিজের এবং দেশের ইমেজ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। নিজের কিছু ছবি দিয়ে প্রচারণার মাধ্যমে মি: পুতিন নিজেকে একজন শক্তিমান ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ২০০৭ সালে মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে স্নাইপার হাতে হাঁটছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৩ সালে পোষা কুকুকদের নিয়ে তুষাড়ের উপর খেলছেন মি: পুতিন। খেলাধুলায় নিজের পারদর্শিতা দেখানোর চেষ্টাও করেছেন মি: পুতিন। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় আইস হকিতে অংশ নিয়েছেন। ২০১৪ সালে শীতকালীন অলিম্পিক এবং ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে মি: পুতিন ক্রীড়াঙ্গনে রাশিয়ার ভালো অবস্থান তুলে ধরতে চেয়েছেন। সোচিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক ছিল সফল। কিন্তু ডোপ কেলেঙ্কারির জের এখনো চলছে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট পুতিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গত সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা রাশিয়াকে চার বছরের জন্য খেলাধুলার বড় আসরগুলোতে নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিং এর অভিযোগ ওঠে ২০১৫ সালে। সে বছরের নভেম্বরে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা' মাদক বন্ধে সহযোগিতা করছে না বলে ঘোষণা করে ওয়াডা। সংস্থার এক রিপোর্টে তখন বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় সরকারি মদদেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্সে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপর ২০১৬ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চার বছর ধরে ডোপিং কর্মসূচি চলেছে যাতে করে তাদের প্রতিযোগীরা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার যেসব তথ্য হস্তান্তর করেছিল, তাতে কারসাজি করা হয় বলে অভিযোগ করছে ওয়াডা। তবে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে রাশিয়া ছিল সফল। ডোপিং কেলেঙ্কারির জন্য ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকস এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে না।", "doc2": "Putin 2018-ci ilin martında təbliğat kampaniyası çərçivəsində Moskvada keçirilən mitinqdə çıxış edir. Keçmiş KQB agenti ilk dəfə 1999-cu il dekabrın 31-də Rusiya prezidenti olanda Bill Klinton hələ ABŞ prezidenti idi və Ağ Evdə idi. Ötən 20 il ərzində ABŞ-da daha üç prezident, Britaniyada isə beş Baş nazir seçilib. Qlobal miqyasda qarşıdurmalardan və daxili qalmaqallardan tutmuş idman zəfərləri və təbliğat fotolarınadək Vladimir Putinin 20 illik hakimiyyətini təsvir edən fotolara nəzər salaq. Vladimir Putin 1999-cu il dekabrın 31-də Boris Yeltsini prezident vəzifəsində əvəzləməkdan əvvəl həmin ilin avqust ayında Baş nazir təyin olunmuşdu. Keçmiş KQB zabiti, 1999-cu ilin oktyabrında Rusiyada bir sıra yaşayış binalarında bomba partlayışlarından sonra İkinci Çeçen müharibəsini başlayanda artıq ölkənin Baş naziri təyin edilmişdi. Onun prezidentlik dövrünün ilk mərhələsi Rusiyanın Çeçenistanla hərbi münaqişəsi fonunda keçib. Rusiya qüvvələri Çeçenistanın paytaxtı Qroznı şəhərini mühasirəyə aldı. BMT 2003-cü ildə mühasirədən sonrakı Qroznı şəhərini yer üzündə ən çox məhv edilən şəhər adlandırıb. Vladimir Putin İkinci Çeçen müharibəsi başlayandan bir neçə ay sonra, 2000-ci ilin martında hərbi təyyarədə Çeçenistana uçub İllər ərzində Rusiya 2004-cü ildə çoxu uşaq olmaqla, 330 nəfərin ölümüylə nəticələnən Beslan şəhərindəki məktəbin mühasirəsi kimi silahlıların hücumlarına məruz qalıb. Prezident Putin Çeçenistandakı döyüş əməliyyatlarına 2009-cu ilə qədər rəsmi olaraq son qoymayıb. Prezident Putin və Rusiya Nazirlər Kabinetinin üzvləri 2004-cü ilin sentyabrında Beslan məktəbində silahlıların hücumu nəticəsində 330-dan çox insanın həlak olmasıyla bağlı bir dəqiqəlik sükut mərasiminə qatılıblar Vladimir Putin 2000-ci ilin martında keçirilən seçkilərdə prezident vəzifəsində təsdiq edildi və bir neçə aydan sonra bir PR böhranına düşdü. Kursk sualtı qayığının qəzası 118 ekipaj üzvünün ölümünə səbəb olub. Prezident Putin Kursk sualtı qayığın komandirinin ailəsi ilə görüşdü, lakin o zaman fəlakətə reaksiya vermə tərzinə görə kəskin tənqid olundu Kursk sualtı qayığı 2000-ci ilin avqustunda batanda prezident Putin Qara dəniz tətilindən qayıtmağa tələsmədi. Qayıqda batan dənizçilərin yaxınlarına məlumat verilməsi isə günlərlə çəkdi. ABŞ prezidenti George W Bush 2001-ci ildə Putini ABŞ-a dövlət səfərinə dəvət etdi. Rusiya prezidenti o cümlədən, Bush-un Texas ştatındakı evinə də baş çəkdi. Vladimir Putin hakimiyyətinin ilk onilliyində Qərb liderlərinin xarici siyasətini tənqid etməsinə baxmayaraq, ümumiyyətlə, onlarla yaxşı münasibətdə idi. İtaliyanın Baş naziri Silvio Berlusconi (sağda) 2003-cü ildə İraqdakı vəziyyəti müzakirə etmək üçün Rusiyaya səfər etdi Kraliça Elizabeth II cənab Putini 2003-cü ildə Britaniyaya dövlət səfərinə dəvət etdi - bu 1874-cü ildən bəri Rusiya rəhbərinin Britaniyaya etdiyi ilk dövlət səfəri idi Rusiya 2006-cı ildə G8 iqtisadi qrupuna ölkənin üzvlüyünü təsdiqləyən ilk G8 sammitini keçirdi. Angela Merkel, Tony Blair, Jacques Chirac, Vladimir Putin və George W Bush 2006-cı ildə Sankt-Peterburqda keçirilən G8 sammitində Rusiya konstitusiyasına görə Putin ardıcıl olaraq üçüncü müddətə prezident kimi qala bilmədi, buna görə 2008-ci ildə dörd il müddətinə Baş nazir oldu. Prezident Dmitri Medvedevin patronu Putini dəstəkləyən bir proteje fiqurdan başqa nəsə olmasını düşünməyən az adam oldu. Baş nazir kimi Vladimir Putin Gürcüstanla müharibədə gedişində yaralananlara baş çəkir Gürcüstan 2008-ci ildə Cənubi Osetiya üzərində nəzarətini bərpa etmək üçün qüvvələrini ora göndərəndə Rusiya Gürcüstana hərbi müdaxilə etdi. Avqust müharibəsi Qərb üçün xəbərdarlıq zəngi idi, lakin Putinin Qərb liderləri ilə münasibətlərini pozan Rusiyanın 2014-cü ildə Ukraynanın şərqinə müdaxiləsi oldu. Rusiyanın Krımı ilhaq edərək Ukraynadan alması ABŞ və Aİ-nin sanksiyalarına səbəb oldu və Rusiyanın G8 qrupuna üzvlükdən məhrum edilməsinə səbəb oldu. Prezident Putinin 2014-cü ildə Ukraynanın Krım yarımadasını ilhaq etməsi, Rusiyadakı rəy sorğularında onun reytinqinin sıçrayışla qalxmasına səbəb oldu Putin 2019-cu ilin avqustunda ilhaq edilmiş Krımdakı motosiklet yürüşündə iştirak edərkən. Ukrayna bu hadisəni \"Ukraynanın suverenliyinin kobud şəkildə pozulması\" olduğunu söylədi Bu ay Ukraynadakı vəziyyətə həsr olunmuş dördtərəfli görüş keçirilib. Ukraynada qarşıdurmanın başlamasından beş il sonra Vladimir Putin və Ukrayna prezidenti Volodimir Zelenski arasında döyüşləri dayandırmaq üçün Fransa və Almaniya liderlərinin vasitəçiliyi ilə danışıqlar keçirilib. Suriyadakı vətəndaş müharibəsinin dördüncü ilində iflas həddində olan müttəfiqi prezident Bəşər Əsədi dəstəkləmək üçün Rusiya hərəkətə keçdi. Putinin Rusiya təyyarələrini və silahlarını Suriyaya göndərmək qərarı döyüş meydanında güc balansını dəyişdi. Vladimir Putinin Suriya prezidenti Bəşər Əsədi dəstəkləməsi Suriyadakı vətəndaş müharibəsinin gedişatını dəyişdi Donald Trump-ın 2016-cı ildə ABŞ-da keçirilən prezident seçkilərində qalib gəlməsindən sonra ABŞ xüsusi xidmət orqanları Rusiyanın bu seçki kampaniyasına müdaxilə etdiyi qənaətinə gəldi. ABŞ xüsusi xidmət orqanları hesab edir ki, Rusiya ABŞ-da 2016-cı ilin prezident seçki kampaniyasına müdaxilə edib 2018-ci ildə isə İngiltərə Rusiyanı Salisbury şəhərində Rusiyanın keçmiş hərbi kəşfiyyat zabiti Sergey Skripal-ı zəhərləməkdə ittiham edib. Sergey Skripal-ı zəhərləmə əhvalatından sonra o vaxtkı Baş nazir Theresa May ilə Vladimir Putin arasında münasibətlər gərgin idi Rusiya prezidenti vəzifədə olduğu müddət ərzində öz imici və Rusiyanın imicini daha yaxşılaşdırmağa çalışıb. Bu illər ərzində Putinə həsr olunmuş şəkillərdə onun güclü bir insan kimi təsvir olunması nəzərə çarpır. Bu fotoda Putin beldən yuxarı çılpaq halda, əlində snayper tüfəngi ilə Monqolustan ilə sərhədə yaxın bir bölgədə gəzərkən lentə alınıb. Putin özünün fərqli cəhətlərini də nümayiş etdirib - 2013-cü ildə çəkilmiş bu fotoda Rusiya prezidenti Buffy və Yume adlı itlərlə qarda oynayır. Prezidentliyi dövründə Putin buz üzərində hokkeyi və cüdo oyunlarında da iştirak edərək idman qabiliyyətini nümayiş etdirməyə çalışıb O, həmçinin 2014-cü ildə Qış Olimpiya Oyunlarına və 2018-ci ildə futbol üzrə Dünya Kubokuna ev sahibliyi etməklə Rusiyanın idman nüfuzunu artırmağa çalışıb. Soçi Oyunları uğurlu alındı, amma dopinq qalmaqalının əks-sədası öz təsirini bildirməkdə davam edir. Ümumdünya Antidopinq Agentliyi (WADA) keçən həftə Rusiyanın bütün böyük idman tədbirlərinə iştirakına dörd illik qadağa qoyub. 2015-ci ildə hazırlanan bir hesabatda Rusiyanın yüngül atletika idmanında dövlət tərəfindən sponsorlanan dopinq proqramının olduğu vurğulanıb. Prezident Putin Rusiyanın 2018-ci il Dünya Çempionatına ev sahibliyi etməsində önəmli rol oynadı 2018-ci ildə FIFA Dünya Kubokunun Rusiyada keçirilməsi beynəlxalq səviyyəli bir müvəffəqiyyət olsa da, dopinq qalmaqalı Rusiyanın 2022-ci ildə Qətərdə keçiriləcək növbəti Dünya Çempionatında iştirak edə bilməyəcəyi anlamına gəlir. Bütün fotolara müəlliflik hüququ mövcuddur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41428750", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41430807", "doc1": "নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রোহিঙ্গা পরিবার। ইয়াংগনে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্তানিস্লাভ সেলিঙ বিবিসিকে জানান, সরকার এই সফর বাতিল করার পেছনে কোন কারণ দেখায়নি। রোহিঙ্গা মুসলমানরা কেন পালাতে বাধ্য হয়েছে সেটা রাখাইনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। মাসখানেক আগে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ঘরবাড়ি ছেড়ে রাখাইন রাজ্যে ভেতরেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছে। চার লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। ওদিকে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সংখ্যা গত কয়েকদিনে লক্ষণীয় রকমে কমে গেছে। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, মিয়ানমার ছেড়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা যে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে এমন কথা বলার সময় এখনো আসে নি। আরো দেখুন: লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা লতাপাতা খেয়ে বেঁচে আছে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বর্মী সেনাবাহিনী' 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' কুতুপালং-এর একটি শরণার্থী শিবির ওদিকে, মিয়ানমারে কর্মরত একটি ত্রাণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রধান এবং সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছেন, যে সব দেশ বর্মী সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেয় তাদের উচিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের জন্য তাদের প্রভাবকে কাজে লাগানো। তিনি বলেন, এ সমর্থনকে মানবাধিকার লংঘনের কাজে ব্যবহার করা চলে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে তাতে সেখানে 'জাতিগত শুদ্ধি অভিযান' চলছে বলে অভিযোগও উঠেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য 'বিশাল পরিমাণে' আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। শরণার্থী সংক্রান্ত জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছেন, এ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।", "doc2": "Rakxayna giriş sərt nəzarət altındadır Baş tutduğu təqdirdə bu avqustda zorakılığ dalğasının başlanmasından bəri BMT rəsmilərinin bölgəyə ilk səfəri olmalıydı. BMT yardım proqramının əməkdaşları rohinca silahlılarına qarşı hərbi əməliyyatın elan olunması ardınca bölgəni tərk etməyə məcbur ediliblər. BMT missiyası səfər vaxtı Myanmadan Banqladeşə qaçan 400 mindən artıq rohinca azlığının aqibəti ilə bağlı vəziyyəti araşdırmalı idi. Banqladeşə keçən rohincalar hərbiyyə və onu dəstəkləyən buddistlər tərəfindən amansız təqiblərə məruz qaldığını deyirlər. Jurnalistlərdən alınan məlumat və görüntülər rohinca kəndlərinə od vurulması barədə şahidlərin ifadələrini təsdiqləyir. BMT səfərinin ləğv olunmasının səbəblərilə bağlı məlumat verilməyib. 25 avqustda başlayan zorakılıq ardınca rohincalar Banqladeşə keçməyə başlayıblar. Görüntülərdə Şimali Rakxaynda old vurulmuş kəndləri görmək olar"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49507131", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50107633", "doc1": "ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হওয়ার প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই সিদ্ধান্তকে অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন সিনিয়র বিরোধী এমপিরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, নতুন আইন প্রণয়ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে যে, ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। স্থগিত থাকবে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হওয়ার বাকি থাকবে মাত্র ১৭ দিন। আরো পড়তে পারেন: সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখে ব্রিটেন রুশদের অ্যাটম বোমার ফর্মুলা দেন যে আমেরিকান চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা সমালোচকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য এবং সীমান্ত ইস্যুতে নতুন কোন চুক্তিতে না গিয়েই ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রক্রিয়াকে যাতে ব্রিটিশ এমপিরা বাধাগ্রস্ত করতে না পারেন তা ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, ব্রিটিশ ঐতিহ্য অনুযায়ী রাণীর ভাষণ অনুষ্ঠানের জন্য হলেও পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করাটা জরুরী ছিলো। সরকার কিভাবে পার্লামেন্ট স্থগিত করতে পারে? ব্রিটিশ রাজনীতির নিয়ম অনুযায়ী, রাণীর ভাষণ অনুষ্ঠানের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙ্গে না দিয়ে বরং এর অধিবেশন স্থগিত করার নিয়ম রয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রোরোগেশন। যার মানে হচ্ছে, সরকার চাইলে পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করতে পারে এবং হাউস অব কমন্সের এমপি কিংবা হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের কেউই এতে বাধা দিতে পারে না। ব্রিটিশ রাজনীতিতে জাক-জমকপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রানির ভাষণের অনুষ্ঠান অন্যতম ব্রিটিশ ঐতিহ্য অনুযায়ী, রাণীর বক্তব্যে অনুষ্ঠানের আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়। সাধারণত এর মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টারি বর্ষ শুরু হয় এবং ঐদিন ব্রিটিশ রাণী-বর্তমান রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ঘোড়ার গাড়িতে করে বাকিংহাম প্যালেস থেকে সংসদে যান। রাজকীয় মুকুট পড়ে তিনি হাউস অব লর্ডসে প্রবেশ করেন। সেখানে স্বর্ণ-সিংহাসনে আরোহণ করেন তিনি। তলব করেন হাউস অব কমন্সের এমপিদের। তবে এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যে সব নতুন আইন পাস করতে চান সে সম্বলিত একটি ভাষণ পড়ে শোনান রানি। এই ভাষণ সাধারণত সরকারের পক্ষ থেকেই লেখা হয়ে থাকে। স্বর্ণ সিংহাসন থেকে ভাষণ পড়ে শোনাচ্ছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৬ শতক থেকে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। এখন বছরে এক বার করে এটি পালন করা হয়। তবে শুরু থেকেই এটি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবেই পালিত হচ্ছে। এটি অনুষ্ঠানের লিখিত কোন নিয়ম-কানুন বা দিনক্ষণ ঠিক করা নেই। তবে ২০১৭ সাল থেকে রাণীর ভাষণের এই অনুষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। পার্লামেন্ট স্থগিতের সময় নিয়ে এতো বিতর্ক কেন? পাঁচ সপ্তাহের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে সরকারি এই সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, ব্রিটিশ এমপিরা যাতে ব্রেক্সিট নিয়ে কিছু বলতে না পারে তা রোধ করতেই এই সময়টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেছে নিয়েছে সরকার। বিরোধীদল লেবার পার্টির ছায়া চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনেল বলেন, \"ভুল করবেন না, এটি একটি ব্রিটিশ অভ্যুত্থান।\" \"ব্রেক্সিট নিয়ে যার যা-ই অভিমত থাকুক না কেন, যখন একজন প্রধানমন্ত্রীকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ এবং মুক্ত পরিচালনা বাধাগ্রস্ত করার অনুমতি দেয়া হয় তখন ধরেই নিতে হবে যে, এনিয়ে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত পথে রয়েছেন আপনি।\" তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন 'নো-ডিল ব্রেক্সিটে'র বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভোট দেয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। তবে, ইইউ-এর সাথে বাণিজ্য এবং সীমান্ত নিয়ে কোন চুক্তি চূড়ান্ত আগ পর্যন্ত এই তারিখ পেছাতে আগ্রহী অনেক এমপি। তবে পার্লামেন্ট যদি আগামী ৫ সপ্তাহ বন্ধ থাকে তাহলে আর এটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে যাবে। হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো সরকার স্থগিতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকোও এই মতের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলছেন, \"এই পদক্ষেপ সংবিধানের অবমাননা।\" তিনি বলেন, \"যেভাবেই এটিকে পরিবেশন করা হোক না কেন, চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় যে, পার্লামেন্ট স্থগিতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে অধিবেশনে ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করা।\" \"এই মুহূর্তে জাতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলোর একটি পার করছে ব্রিটেন। পার্লামেন্টের নিজস্ব মতামত দেয়াটা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।\" নাকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক? এই সিদ্ধান্ত কি গণতন্ত্রের প্রতি একটি অপমান কিনা এবং একইসাথে এমপিদের বিতর্ক এবং ব্রেক্সিট নিয়ে একটি সম্ভাব্য ভোটাভুটির পথ বন্ধ করে দেবে? এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, \"না। এটা একেবারেই সত্য নয়।\" বরিস জনসন বলছেন, পার্লামেন্ট স্থগিতের সাথে ব্রেক্সিটের কোন সম্পর্ক নাই তিনি বলেন, এর একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সরকারের নতুন এজেন্ডা তুলে ধরা। \"আমাদের নতুন আইন প্রয়োজন। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আমরা নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিল উত্থাপন করবো। আর এজন্যই রাণী সংসদে তার ভাষণ দেবেন এবং এটি ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কর্মসূচী নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো আমরা।\" তবে প্রধানমন্ত্রীর অনেক সমর্থকও স্বীকার করেছেন যে, সময় নির্ধারণ কিছুটা হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার সময়সূচি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। \"আমি এটা নিয়ে নিশ্চিন্ত। কারণ আমার মনে হয় বরিস জনসন সেটাই করছেন যেটা ব্রেক্সিট কার্যকর করতে করাটা জরুরী। পুরো দেশ এটাই চায়। এজন্য পুরো দেশ ভোট দিয়েছিলো,\" বলেন কনজারভেটিভ এমপি পওলিন লাথাম। বিভক্ত দেশ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বৈধ অথবা গণতন্ত্রের পরিপন্থী-ব্রিটিশরা একে যেভাবেই দেখুক না কেন শেষমেশ যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো: ব্রেক্সিট। এই ইস্যুটি ব্রিটেনকে বিভক্ত করেছে। এটি শুধু সামাজিক প্রেক্ষাপটেই বিভক্তি তৈরি করেনি বরং পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর আনুগত্যেও বিভক্তি নিয়ে এসেছে। যারা ব্রেক্সিট সমর্থন করেন তাদের জন্য, পার্লামেন্ট স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত শেষমেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার ছোট মূল্য মাত্র। ব্রেক্সিট রুখতে এর বিপক্ষে বিক্ষোভ করেছেন অনেক ব্রিটিশ নাগরিক অন্যদিকে যারা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে তাদের কাছে এই সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ গণতন্ত্রের মূলে আঘাত করেছে। অনেক ব্রিটিশ নাগরিক যারা ইইউ ত্যাগ করার পক্ষে, তারা অভিযোগ তুলেছেন যে, ব্রিটিশ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে পার্লামেন্টের অনেক এমপি ব্রেক্সিট রুখে দিতে চান। ব্রিটিশ নাগরিকরা ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পক্ষে ৫২ শতাংশ এবং বিপক্ষে ৪৮ শতাংশ ভোট দেন। এই বিতর্কের মূলে রয়েছে ব্রিটিশ সংবিধান, অন্য দেশগুলোর মতো এর কোন লিখিত রূপ নেই। এর পরিবর্তে এটি আবর্তিত হয়েছে বহু বছরের প্রথা, পার্লামেন্টের নিয়ম-রীতি, আদালতের রায় এবং ঐতিহাসিক রীতি-নীতিকে ঘিরে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ব্রেক্সিটের পক্ষেও র‍্যালী হয় রাজনীতিবিদেরা যখন সৎ উদ্দেশ্যে দেশ পরিচালনা করতে চান তখন এটা তেমন কোন অসুবিধা তৈরি করে না। কিন্তু ক্রম বিভক্ত ব্রিটেন যেখানে ইইউ ত্যাগ করা না করা নিয়ে বিতর্ক চরমে, যেখানে দু'পক্ষই জয়ের জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি, সেখানে এই পুরনো নিয়ম-কানুন মুখ থুবড়ে পড়ে। সিনিয়র লেবার এমপি ডেম মার্গারেট বাকেট এ বিষয়ে কিছুটা বিদ্রুপাত্মকভাবেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, \"পার্লামেন্ট ছাড়া সরকার পরিচালনার ঘটনা আমাদের ইতিহাসে নজির রয়েছে। তবে শেষবার এ ধরণের পরিস্থিতি যখন হয়েছিল, তা শেষ হয়েছিল গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে\"। ব্রিটেন ইইউ ছাড়ুক বা নাই ছাড়ুক, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামী আরো অনেক বছর তিক্ত এবং বিভক্ত থাকবে।", "doc2": "BBC-nin parlamentdəki müxbirlərinin bildirdiyinə görə, yeni Brexit müqaviləsi azı gələn həftəyədək səsverməyə çıxarılmayacaq. Bu arada isə Boris Johnson-un yeni Brexit sövdələşməsiylə bağlı \"yekun söz\" səsverməsi keçirmək çağırışı ilə Londonun mərkəzində on minlərlə insan yürüş keçirir. \"Xalq səsverməsi\" (\"People's Vote\") kampaniyasının təşkilatçıları bildiriblər ki, aksiyanın məqsədi Avropa İttifaqını Baş nazir Boris Johnson-un razılaşdırdığı şərtlərlə tərk etməkdən Britaniyanın məmnun olduğunu yoxlamaqdır. Etirazçılar Londonun mərkəzi küçələriylə parlamentin yerləşdiyi Westminster binasına doğru hərəkət ediblər. BBC müxbirlərinin məlumatına görə, yürüş yerli vaxtla günorta saat 12:00 radələrində başlayıb. Brexit üzrə yeni razılaşmaya dair səsvermə təxirə salınması parlament üzvlərinin müstəqil deputat ser Oliver Letwin-in təklif etdiyi düzəlişə səsverməsindən sonra baş verib. Letwin-in düzəlişinə görə yeni müqaviləyə razılaşma ilə əlaqəli bütün qanun layihələrinin Parlamentdə qəbulunadək səsvermə keçirilə bilməz. Oliver Letwin-in təbirincə, onun düzəlişinin əsas məqsədi \"müqaviləsiz Brexit variantının qarşısını almaqdır\". Oliver Letwin-in düzəlişiylə bağlı keçirilmiş səsvermə belə nəticəylə başa çatıb: lehinə - 332 səs, əleyhinə - 306 səs. Beləliklə, Letwin-in düzəlişi parlament tərəfindən qəbul olunub və yeni Brexit müqaviləsi üzrə səsvermə təxirə salınıb. Səsi önəmli sayılan Şimali İrlandiya Demoktratik Birlik partiyası da Letwin-in düzəlişinə səs verib. Leyboristlərin lideri Jeremy Corbyn-nin fikrincə, parlamentin qəbul etdiyi düzəliş Britaniya hökümətinə Aİ-dən Brexit vaxtının uzadılmasını xahiş etməyə, deputatlara isə yeni Brexit müqaviləsini ətraflı araşdırmağa və müzakirə etməyə imkan verəcək. Lakin Baş nazir Boris Johnson bəyan edib ki, \"Aİ ilə Brexit-in vaxtının uzadılmasını müzakirə etməyəcək\". İclasda razılaşdırılmamış referendumun qarşısını almaq və ikinci referendumun keçirilməsinə mane olmaq üçün tərəflərarası düzəliş barədə səsvermə dayandırılıb. Müzakirələrdə nə deyildi? Baş nazir Boris Johnson-un Brexit müqaviləsiylə bağlı çıxış edən aparıcı müxalif partiya olan Leyboristlərin lideri Jeremy Corbyn deyib ki, \"yeni Brexit müqaviləsi bundan əvvəlki müqavilə layihəsindən daha pisdir\". \"Yeni müqavilə Britaniyada iş yerlərini, insan haqlarını və Milli Səhiyyə Sistemini risk altına alır, - Jeremy Corbyn vurğulayıb. - Bu müqavilə yoxsulları daha da yoxsullaşdıracaq\". Britaniya parlamentində Şotlandiya Millətçi Partiyası (SNP) fraksiyasının lideri Ian Blackford öz çıxışında qeyd edib ki, yeni Brexit müqaviləsində \"Şotlandiyanın rəyi nə soruşulub, nə də ki, nəzərə alınıb\". \"Şotlandiya Downing Street-i heç maraqlandırmır da\", - Ian Blackford vurğulayıb. Bundan əvvəl çıxış etmiş Baş nazir Boris Johnson isə yeni Brexit müqaviləsinin Britaniya üçün \"əsas üstün cəhətinə\" diqqəti çəkib. \"Bu müqavilə Britaniyaya Avropa İttifaqını tamamilə və bütöv şəkildə tərk etməyə imkan verir\", - Aİ ilə əldə etdiyi müqavilə layihəsi barədə məlumatla iclası başlayan Baş nazir Boris Johnson vurğulayıb. 37 ildə ilk dəfə Parlament 37 ildə ilk dəfə bir şənbə günü Boris Johnson-un Brexit müqaviləsinə səs verəcək. Baş nazir Aİ ilə razılaşdırdığı müqavilənin İcmalar Palatasında baş tutacaq səsverməsindən öncə deputatları onu dəstəkləməyə inandırmağa çalışır. Onun keçmiş DUP müttəfiqləri və müxalifət partiyaları bu təklifə qarşı səs verməyi planlaşdırır. Baş nazir Boris Johnson və Avropa Komissiyasının sədri Jean-Claude Juncker cümə axşamı sammitdə yeni müqaviləni elan edib Brexit katibi Stephen Barclay səsvermənin \"qapalı\" ola biləcəyini bildirib. O, hökumətin \"hər tərəfdən deputatların narahatlığını dinlədiyini\" də söyləyib. Azı 9 Leyborist deputatın hökuməti dəstəkləyəcəyi gözlənir. Baş Nazir isə keçən ay ona qarşı çıxdıqları üçün vəzifələrindən kənarlaşdırılan 21 Tory deputatın dəstəyinə ümid edir. İcmalar Palatasında iş Britaniya vaxtilə 9: 30-da başlayacaq. Bu, 1982-ci ildə Falklandların işğalından sonra ilk həftəsonu toplantısıdır. Cənab Johnson deputatlara açıqlama verəcək və Palatanın sazişlə əlaqədar müzakirəyə keçməzdən əvvəl suallara cavab verəcək. Səsvermənin nəticəsi Britaniya vaxtilə 14:30-dan əvvəl gözlənilmir. Cənab Johnsonun Aİ ilə yenidən işlənmiş müqaviləsi cümə axşamı Brüssel sammitində razılaşdırılıb. Yeni razılaşmada təklif olunan əsas maddələr"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51073935", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51069173", "doc1": "তেহরান থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি ভূ-পাতিত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সাইটের কাছাকাছি যাত্রীবাহী বিমানটি চলে আসলে \"মানব ত্রুটি\"র কারণে বিমানটি ভূপাতিত হয়। বিমানটিকে \"শত্রু টার্গেট\" মনে করে ভুল করা হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, বিবৃতিতে বলা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। এর আগে ইরান অস্বীকার করে যে, দেশটির একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বুধবার রাজধানী তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু ইরান হয়তো ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূ-পাতিত করেছে- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এমন দাবি তোলার পর থেকে ইরানের উপর চাপ বাড়তে থাকে। এক টুইটে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানি বলেন, বিমানটির \"ভয়ংকরভাবে বিধ্বস্ত\" হওয়ার ঘটনা \"ক্ষমার অযোগ্য ভুল\"। ইরাকে মার্কিন দুটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পিএস৭৫২ বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই মারা যায়। ইউক্রেনের ওই ফ্লাইটটি ইউক্রেনীয় রাজধানী কিয়েভ হয়ে কানাডার টরেন্টোর দিকে যাচ্ছিল, কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে আছড়ে পরে এটি। বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের মধ্যে ইরানি ছাড়াও কানাডা, সুইডেন, ইউক্রেন, আফগানিস্তান ও জার্মানির নাগরিক ছিল মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয় যে, ইরান যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল তাই তারা হয়তো ইউক্রেনীয় এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে যুদ্ধ বিমান ভেবে ভুল করেছে। জানুয়ারির ০৩ তারিখে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে আকাশ পথে হামলা চালায় ইরান। শনিবার এক টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, \"যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতা\" ইউক্রেনীয় জেটটি ভূ-পাতিত হওয়ার জন্য আংশিকভাবে দায়ী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানের, ৫৭ জন কানাডার এবং ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক ছিলেন। এছাড়া সুইডেন, যুক্তরাজ্য, আফগানিস্তান এবং জার্মানির নাগরিক থাকার কথাও জানা যায়। ইরানের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? শনিবার সকালে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পাঠ করা সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বাহিনী ভুল করে ফ্লাইট পিএস৭৫২ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রেভল্যুশনারি গার্ড যা ইরানের ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে সেটির \"স্পর্শকাতর একটি সামরিক কেন্দ্রের\" কাছে চলে গিয়েছিল বিমানটি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা চরমে থাকার কারণে ইরানের সামরিক বাহিনী \"সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে ছিল।\" \"এমন অবস্থায়, মানব ত্রুটির কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে ফ্লাইটটিতে আঘাত হানা হয়েছিল,\" বিবৃতিতে বলা হয়। আরো পড়তে পারেন: বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফেরত দেবে না ইরান ইরানে যাত্রী বিমান বিধ্বস্ত, ১৭৬ জন নিহত ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো এরআগে ইরান অস্বীকার করেছিল যে, ইউক্রেনীয় জেটটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আছড়ে পড়েছে বিমানটিকে ভূপাতিত করার কারণে বিবৃতিতে ক্ষমা চেয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী। বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরণের ভুল এড়ানোর জন্য তারা তাদের ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়। ইরানের ঘোষণার আগে কী ঘটেছিল? এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি যে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তা থেকে সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে আসলো। গত শুক্রবারও ইরান বেশ জোড়ালোভাবেই অস্বীকার করেছে যে বিমানটিকে ভূপাতিত করা হয়নি। \"আমাদের কাছে যে বিষয়টি পরিষ্কার এবং আমরা যা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তা হলো, বিমানটিকে কোন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেনি,\" বলেন ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা সিএওই'র প্রধান আলি আবেদজাদেহ। বৃহস্পতিবার, ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবেই অভিযোগ তোলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে \"মিথ্যাচার করছে এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।\" কিন্তু প্রমাণাদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পক্ষে জোড়ালো হওয়ায়, স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বানও জোড়ালো হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায় যে, তেহরানের রাতের আকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলকানি দেখা যাচ্ছে এবং একটি বিমানের সংস্পর্শে আসার পর সেটি বিস্ফোরিত হচ্ছে। এর ১০ সেকেন্ড পর বিস্ফোরণের বিকট শব্দ মাটি থেকে শোনা যায়। আর আগুন ধরে যাওয়া বিমানটি উড়তে থাকে। ইরানের ছোঁড়া মিসাইলেই কি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে? গত বৃহস্পতিবার, টেলিভিশনের দেখানো বিমান বিধ্বস্তের ছবিতে দেখা যায় যে, ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় ইরান পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি তারা তদন্তে অংশ নিতে ইউক্রেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। শুক্রবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শ্যাম্পেন ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, \"বিশ্ব নজর রেখেছে,\" এবং বিমানে থাকা নিহত আরোহীদের স্বজনেরা \"সত্য জানতে চায়\"। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কানাডার নাগরিকদের ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করে স্বজন ও দেশটির সাধারণ মানুষ এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বলেন যে, একাধিক সূত্র থেকে তিনি যেসব গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন তা এটাই নির্দেশ করে যে, ইরানের ভূমি-থেকে-আকাশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে বিমানটি। মিস্টার ট্রুডোর এমন মন্তব্যের পরেই এই হুঁশিয়ারি দিলেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যাত্রীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ইউক্রেনে ফ্লাইট এমএইচ১৭ নামে মালয়েশিয়ার একটি বেসামরিক এয়ারলাইনের বিমানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে ২৯৮ জন আরোহী নিহত হয়। বিবিসি বাংলার আরো খবর: সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর জিহ্বায় বাড়তি চর্বি ঘুমের মধ্যে নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার কারণ? ধর্ষণের বিচার পাওয়া নিয়ে যত প্রশ্ন বাংলাদেশে", "doc2": "Boeing 737-800 təyyarəsi çərşənbə günü Tehran hava limanından havaya qalxandan bir neçə dəqiqə sonra qəzaya uğrayıb Araşdırmanın nəticələrinə görə, \"raketlər insan səhvi nəticəsində atılıb\", İran prezidenti deyib. Həsən Ruhani hadisəni \"bağışlanmaz səhv\" adlandırıb. O, \"böyük faciədə\" həlak olanların yaxınlarına baş sağlığını bildirib. İndiyədək İran qəzaya görə məsuliyyət daşıdığı barədə iddiaları rədd edirdi. Göyərtəsində 176 nəfər olan Boeing 737-800 təyyarəsi çərşənbə günü Tehran hava limanından havaya qalxandan bir neçə dəqiqə sonra qəzaya uğrayıb. Qəzadan sağ çıxan olmayıb. Qəza, İranın ABŞ qüvvələrinin İraqdakı iki hava bazasına raket zərbələri endirdikdən bir neçə saat sonra baş verib. Raket həmlələri yanvarın 3-də Bağdadda general Qasım Süleymaninin öldürülməsinə cavab idi. Dövlət televiziyası ilə yayımlanan İran Silahlı Qüvvələri Baş Qərargahının (SQBQ) bəyanatında deyilir ki, Ukrayna Beynəlxalq Hava Yollarına (UİA) məxsus Boeing təyyarəsi hərbi əməliyyatlar bölgəsinə yaxın məsafədə olarkən, yanlışlıq nəticəsində düşmən obyekti kimi hədəfə alınıb. \"Uçuş zamanı təyyarə İslam İnqilabı Keşikçiləri Korpusunun vacib hərbi obyektlərindən birinə çox yaxın olub, o, forma və uçuş yüksəkliyi baxımından düşmən obyektinə bənzəyib\", - yanvarın 11-də yayılan İran hərbçilərinin bəyanatında qeyd olunur. Bəyanatda bütün günahkarların məsuliyyətə cəlb olunacağı deyilir. İran İnqilab Keşikçiləri Korpusunun hava-kosmik qüvvələrinin komandanı deyib ki, raket sistemini müstəqil və təkbaşına idarə edən operator təyyarəni \"qanadlı raket\"lə səhv salıb. \"Onun qərar verməyə 10 saniyəsi var idi. Zərbə endirmək və ya endirməmək barədə qərar verə bilərdi və belə şəraitdə səhv qərar qəbul etdi\", - operator barədə danışan Əmirəli Hacızadə bildirib. \"O, əlaqə yaratmalı və yoxlama aparmalı idi. Lakin belə görünür ki, onun rabitə sistemində müəyyən pozuntular olub.\" İranda reaksiya Sosial mediada Tehranda keçirilən etiraz nümayişləri barədə görüntülər yayılır. Aksiyaların Şərif və Əmir Kəbir Universitetlərində yer aldığı bildirilir. Bəzi nümayişçilər Ali dini lider Əli Xameneyinin istefasına çağırışlar səsləndirib. Hökumət əleyhinə çıxışları nadir hallarda işıqlandıran Fars agentliyi 1000-ə qədər insanın toplaşdığı aksiya barədə xəbər yayıb. Məlumata görə, aksiya iştirakçıları Bağdadda ABŞ hava zərbəsiylə qətlə yetirilən general Süleymanının şəkillərini cırıblar. İran təyyarəni vurduğunu niyə etiraf etdi? Bu, İran üçün həlledici bir məqamda mühüm etirafdı, BBC-nin beynəlxalq məsələlər üzrə baş müxbirinin təhlilində deyilir. Lyse Doucet-in yazdığına görə, belə faciəli səhvə görə məsuliyyəti öz üzərinə götürmək adi hal deyil, amma İslam Respublikasının üzləşdiyi böhran da qeyri-adidir. İran, Qərblə növbəti bəyanatlar müharibəsinə qatılmamaq və başı bir bəladan başqa bəlaya girən öz əhalisi arasında əlavə qəzəb və hiddət yaratmamağa görə, fəlakəti etiraf etmək qərarına gəlib. Səhv etməyin, bu gərginliyi aradan qaldırmağa yönələn de-eskalasiya addım idi, yazır Lyse Doucet. Bu addımın daxildəki fəsadları tezliklə bəlli ola bilər. İranın xarici işlər naziri günahı ABŞ-ın boynuna atmağa çalışaraq deyib ki, bu, \"ABŞ-ın avantürizminə görə yaranan böhrandı\". Ancaq önəmli sual budur: İranın hava məkanında belə bir gərginliyin yaşandığı vaxtda mülki təyyarənin havaya qalxmasına icazəni verən kim olub? , - BBC-nin beynəlxalq məsələlər üzrə baş müxbirinin təhlilində deyilir. Həmçinin oxuyun"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47944261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47937942", "doc1": "আগুনে পুড়ে গেছে নটরডাম ক্যাথেড্রালের অনেক অমূল্য সম্পদ জরুরি বিভাগ আগুন নেভানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম এবং অমূল্য সম্পদগুলো ক্যাথেড্রাল থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। তবে ভবনটির কাঠের চমৎকার কাজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু ৮৫০ বছর পুরনো এই গোথিক ভবনটির আর কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে? প্রথম রোজ উইন্ডো স্থাপন করা হয় ১২২৫ সালে রোজ উইন্ডো তেরশো শতকের পুরনো এই ক্যাথেড্রালে তিনটি রোজ উইন্ডো রয়েছে. যেটি এই ভবনটির সবচেয়ে বিখ্যাত বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি। আগুনের পর এর কোনটি এখন আর টিকে আছে কিনা, তা পরিষ্কার নয়। প্রথমটি স্থাপন করা হয় ১২২৫ সালে এবং সেখানে যেভাবে নানা রঙের কাচ বসানো হয়, তা সবার নজর কাড়ে। তবে কোন জানালাতেই আর প্রাচীন সেই রঙিন কাচগুলো নেই, কারণ আগের আগুনে সেসব নষ্ট হয়ে গেছে। নটরডাম দেখতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থী ভবনের সামনের দুইটি গোথিক গম্বুজের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন দুই গম্বুজ নটরডাম দেখতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থী ভবনের সামনের দুইটি গোথিক গম্বুজের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে থাকেন যেটি ক্যাথেড্রালের পশ্চিম ফটকে অবস্থিত। ১২০০ সালের দিকে পশ্চিম ফটকের কাজ শুরু হয়। তবে প্রথম টাওয়ারটি, উত্তর পাশে যেটি রয়েছে, সেটি বানাতে সময় লাগে ৪০ বছর। আর দক্ষিণ পাশের টাওয়ারটির কাজ শেষ হয় আরো দশবছর পরে, ১২৫০ সালে। দুইটি টাওয়ারই ৬৮মিটার উঁচু, যেখানে উঠতে ৩৮৭ পদক্ষেপ লাগে। এখান থেকে পুরো প্যারিস শহরটিকে চমৎকারভাবে দেখা যায়। সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভবনের ছাদের ওপর বসে থাকা একটি মূর্তি, যে শহরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। গার্গোয়েলস যারা ক্যাথেড্রালের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে প্যারিস শহর দেখার জন্য উপরে উঠেছেন, তাদের এই ক্যাথেড্রালের আরেকটি আকর্ষণীয় উপাদান পার হয়ে যেতে হয়েছে, সেটা হলো গার্গোয়েলস। অনেক পশুর আকৃতি মিলিয়ে পৌরাণিক এই ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভবনের ছাদের ওপর বসে থাকা একটি মূর্তি, যে শহরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নটরডামের ঘণ্টা ঘণ্টা এই ক্যাথিড্রালে দশটি ঘণ্টা রয়েছে। সবচেয়ে বড়টির নাম ইমানুয়েল, যার ওজন ২৩ টন এবং সেটি বসানো হয়েছে ১৬৮৫ সালে। ২০১৩ সালে ৮৫০ বছরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে উত্তর টাওয়ারে সবচেয়ে ছোট ঘণ্টাটি বসানো হয়। যদিও ফরাসি বিপ্লবের সময় আসল ঘণ্টাগুলোকে তরল করে কামানের গোলা বানানো হয়েছিল। তবে প্রতিকৃতি বসানোর সময় একেকজন সেইন্টের নামে একেকটি ঘণ্টার নামকরণ করা হয়। ভিক্টর হুগোর উপন্যাসের নায়ক কোয়াসিমোডো এরকম একটি ঘণ্টার বাদক হিসাবে কাজ করতেন। বামে এক বছর আগে তোলা গির্জার বুরূজের ছবি, আর ডানেরটি তোলা সোমবারে যখন এটি আগুনে পুড়ছিলো গোথিক স্পিয়ার নটরডামের আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনা হলো ১২শত শতকে স্থাপিত গোথিক স্পিয়ার , যা অনেকটা পিরামিডের মতো উপরে উঠে গেছে। তবে সোমবারের আগুনে এটি ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের ইতিহাসে অনেকবার এটিতে পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ফরাসি বিপ্লবের সময় এটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং ১৮৬০ সালে পুনরায় নির্মিত হয়। পুরো ক্যাথেড্রালের এসব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নষ্ট হয়ে পাওয়াকে ফরাসি গোথিক স্থাপত্যকলার ওপর অপূরণীয় আঘাত বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। শেষ চিহ্ন নটরডামকে মনে করা হতো প্যাশন অফ ক্রাইস্টের ভগ্নাবশেষের শেষ ঠিকানা, যার মধ্যে রয়েছে ক্রসের একটি টুকরো, একটি নখ এবং পবিত্র কাঁটার মুকুট। তবে এই মুকুটটি আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নটরডামে আগুন দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফরাসিদের কাছে নটরডাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিবিসির সংবাদদাতা হেনরি আস্টিয়ার বলছেন, নটরডামের মতো আর কোন স্থাপনাই এভাবে ফ্রান্সকে প্রতিনিধিত্ব করে না। জাতীয় প্রতীক হিসাবে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যেতে পারে প্যারিসের আরেকটি স্থাপনা ইফেল টাওয়ারকে, যেটি মাত্র একশো বছরের কিছু বেশি পুরনো, যদিও নটরডাম প্যারিসে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বাদশ শতক থেকে। এই ভবনের নাম উঠে এসেছে ফ্রান্সের অন্যতম সেরা উপন্যাস, ভিক্টর হুগোর হ্যাঞ্চব্যাক অফ নটর-ডামে। ফরাসি বিপ্লবের সময় সর্বশেষ এই ভবনটি বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়। তখন ধর্মবিরোধী উগ্রবাদীদের হামলায় বেশ কয়েকজন সেইন্টের ভাস্কর্য কেটে ফেলা হয়। দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সত্ত্বেও টিকে গিয়েছে ভবনটি। প্যারিসে বসবাসকারী যেসব জিনিস নিয়ে গর্ব করে থাকেন, এই ভবনটি তারই একটি। শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণীয় নয়, বছরে এখানে অন্তত ২০০০ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।", "doc2": "Yanğınsöndürənlər 12-ci əsrə aid, qotik üslubda tikilmiş, vitraj pəncərələri, qədim elementləri ilə məşhur olan kilsədə bir neçə saat yanğını söndürməyə çalışıblar. Minlərlə parisli və turist yanğını kənardan seyr edib. Alovlanan qüllə dağılııb Ötən il və bazar ertəsi yanğınında çəkilmiş şəkillərin müqayisəsi Yanğını uzaqdan da müşahidə etmək olub Tarixi binanın zədələnməsi Fransız xalqına uzun müddət təsir edəcək All images subject to copyright"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48734877", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41607471", "doc1": "তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে তিনি জানান। \"আমরা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি,\" সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মি. ট্রাম্প। \"(কিছু) ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা করা হবে।\" পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কিত ইরানের ঘোষণা আসার পরই এমন কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল ও ইরানকে তেল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছর চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। যার ফলে ইরান আবারো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং তার মুদ্রার মান হ্রাস পায়। \"যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়... তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে,\" বলেছেন মি. ট্রাম্প। \"কিন্তু, তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি না তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।\" ২০১৬ সালের নির্বাচনী স্লোগানের মত করে তিনি বলেন, \"ইরানকে আবার মহান বানান।\" এসব কথার পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার টুইট করে দেশটির ওপর 'বাড়তি কঠোর নিষেধাজ্ঞা' জারির ঘোষণা দেন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আরো পড়ুন: ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প ইরানে মার্কিন হামলার পরিণতি কী হতে পারে? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? মানচিত্রে ওমান উপসাগর এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কিভাবে ইরানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে? গত বছর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে ইরানের বিশেষ করে জ্বালানী, শিপিং এবং আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশী বিনিয়োগ কমে যায় ও তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশটির সাথে বাণিজ্য থেকে বিরত থাকলেও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। এর ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ঘাটতি দেখা যায়, বিশেষ করে প্রভাব পরে শিশুদের ব্যবহার্য দ্রব্যে। স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় দেশে উৎপাদিত খাদ্যে প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায় মাংস বা ডিমের মতো খাদ্য সামগ্রীর। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন ইরানি বাহিনী আমেরিকান একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে কী হতে পারে এরপর? দুইটি দেশের মধ্যের উত্তেজনা যখন ক্রমশই বাড়ছিল ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি এল। আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশোনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি বলছে, এই ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে 'পরিষ্কার' বার্তা পাঠানো হলো যে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। তবে মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষের দাবি, মানুষবিহীন ঐ উড়োজাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সীমানাতেই ছিল। তারপর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। আইআরজিসি'র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, \"৩৫ জনকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান সেসময় ঐ ড্রোনের খুব কাছেই ছিল, যেটিকে আমরা সহজেই গুলি করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করিনি।\" মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেসময় বলেছিলেন, তিনি ইরানের সাথে যুদ্ধ চান না, কিন্তু সংঘাত বেধে গেলে, ইরানকে 'নিশ্চিহ্ন' করে দেওয়া হবে।", "doc2": "Donald Trump nüvə sazişini artıq iki dəfə dəstəkləyib. ABŞ sazişdən çıxmamaq üçün daxili və xarici təzyiqlərlə üzləşir. Dövlət katibi Rex Tillerson məsələ ilə bağlı Avropa və Çin tərəfdaşları ilə məsləhətləşmələr aparır. 2015-ci ildə imzalanmış beynəlxalq sazişə əsasən İran sanksiyaların qismən ləğvi müqabilində öz nüvə proqramını dondurmalıdır. Prezident Donald Trump uzun müddətdir ki, sazişin tənqidçisidir və öz seçki kampaniyasının gedişatında onu ləğv edəcəyini bildirirdi. ABŞ prezidenti 90 gündən bir İranın saziş şərtlərinə əməl etməsini təsdiqləməlidir. Cənab Trump bu sazişi artıq iki dəfə dəstəkləyib. Lakin onun dəstəkdən imtina edəcəyi barədə bəyanatları ABŞ müttəfiqləri və hətta onun öz administrasiyası daxilində narahatlıqla qarşılanmaqdadır. Oktyabrın əvvəlindəki Senat dinləmələrində müdafiə naziri James Mattis sazişdən çıxmağın ABŞ maraqlarına cavab vermədiyini deyib. Cənab Trump Tehranı dəfələrlə sazişin \"ruhun\"a zidd hərəkətlərdə ittiham edib. Hərçənd ki, Beynəlxalq Atom Energetikası Agentliyi və ABŞ Konqresi hesab edir ki, İran razılaşmaya əməl edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51528823", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51410836", "doc1": "শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এটি সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনে আক্রান্ত হলেও আরো ৩০টি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণা যেটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। \"শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বিরল,\" গবেষকরা বলেন। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? শিশুরা কি এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রতি বেশি প্রতিরোধী? শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কম এনিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে কিন্তু শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে না এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই। \"কারণ আসলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না,\" বিবিসিকে একথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস। এর অর্থ হচ্ছে শিশুরা রোগটিতে খুব মৃদুভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যার কারণে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আর এ কারণেই তারা চিকিৎসকের কাছে যায় না এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করারও দরকার হয়না। এবিষয়ে সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট। \"পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ ভাবে কাজ করে,\" তিনি বলেন। \"তারা হয়তো আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা বেশ মৃদু বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোন উপসর্গ থাকে না।\" শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের এই নিম্নহার এর আগেও দেখা গেছে। সম্প্রতি ২০০৩ সালে চীনে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ৮০০ মানুষ মারা গেলেও তখনও শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম ছিল। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল(সিডিসি) এর বিশেষজ্ঞরা ১৩৫ জন শিশু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুঁজে পান। কিন্তু তখন \"শিশু ও কিশোরদের মধ্যে একজনও মারা যায়নি\" বলে জানান তারা। নতুন চন্দ্র বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ থাকার কারণেই কি শিশুরা ভাইরাসে তেমন আক্রান্ত হয়নি? নববর্ষের ছুটি কি শিশুদের রক্ষা করেছে? ম্যাকডারমট আরো মনে করেন যে, প্রাপ্তবয়স্করা যেভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে শিশুরা হয়তো সেভাবে ততটা সংস্পর্শে আসেনি। কারণ প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চীনের নতুন বছরের ছুটির সময় যখন স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। চীনের প্রায় সবগুলো প্রদেশেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং অনেক স্কুল পুরো ফেব্রুয়ারি মাস বন্ধ থাকবে। \"প্রাপ্তবয়স্করা বাড়িতে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখে।\" তিনি মনে করেন যে এই চিত্র পাল্টে যেতে পারে কারণ \"রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসের সংস্পর্শে আশার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।\" যাইহোক, কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়লেও সেই হারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা বাড়েনি। এখানেও সার্সের প্রাদুর্ভাবের উদাহরণ টানা যায়: সিডিসির গবেষকরা যারা শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা বলছেন যে, ১২ বছরের কম বয়সীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন কম হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। শিশুদের তুলনায় কি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হয়? যদিও কম সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে, তারা আসলে আক্রান্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আরো সম্ভাব্য বিশ্লেষণটি হলো, এই প্রাদুর্ভাব হয়তো সেই রোগগুলোর মধ্যে একটি যা শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করে, যেমন জলবসন্ত। \"শিশুদের হয়তো কোনভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে-এমন ধারণার তুলনায় এটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি,\" বিবিসিকে একথা বলেন অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান যিনি কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, \"এটা এ কারণেও হতে পারে যে, কর্তৃপক্ষ হয়তো যাদের উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে পরীক্ষাই করছে না।\" হংকংয়ে সার্স প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের স্ট্যাটিস্টিকাল এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ ক্রিসেল ডনেলি। \"আমার সহকর্মীরা যে বিষয়ে একমত হয়েছি তা হলো কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব তেমন আগ্রাসী হয়না- যার কারণে তারা মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে না।\" করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাসিন্দা। আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত যেসব প্রাপ্তবয়স্করা আগে থেকেই অন্য রোগে আক্রান্ত তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল- যেমন ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তরা এই প্রাদুর্ভাবের সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকে। \"নিউমোনিয়া(করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি) তাদেরকেই বেশি আক্রান্ত করে যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কারণ তাদের স্বাস্থ্য এমনিতেই খারাপ কিংবা তারা হয়তো তাদের জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছে,\" ইয়ান জোনস বলেন। \"ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্য রোগগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।\" জিনইনতান হাসপাতালে যেসব রোগীদের উপর গবেষণা চালানো হয় তাদের অর্ধেকই আগে থেকেই নিরাময়যোগ্য নয় এমন অন্য কোন রোগে আক্রান্ত ছিল। ভাইরাসের মৃদু সংক্রমণের শিকার শিশুরা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি। কিন্তু শিশুরা কি ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পরিচিত নয়? \"শিশুরা সাধারণত নিজেরাই বেশি পরিমাণে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং তা ছড়িয়েও দিয়ে থাকে- আর তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান সংক্রামক বা 'সুপার স্প্রেডার' হিসেবে পরিচিত,\" বলেন ইয়ান জোনস। \"তারা খুব সহজেই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ছড়ায় এবং নার্সারির বাচ্চাদের সাথে যারা থাকেন তারা এটি ভালভাবেই জানেন,\" তিনি বলেন। তাই নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতদের তালিকায় বড় সংখ্যায় শিশুদের থাকার কথা ছিল- কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে যে, ভাইরাসে বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে, অথবা রোগটি হয়তো প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের প্রতি তেমন আগ্রাসী হয় না, আর তাই শিশুরা চিকিৎসা সেবা নেয় না এবং পরীক্ষাও নথিবদ্ধ করা হয়না। তবে চলতি প্রাদুর্ভাব নিয়ে আরো বেশি গবেষণার পর হয়তো এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। আবার এটাও হতে পারে যে, সচেতন বাবা-মা এবং স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা হয়তো সংক্রমণের সংস্পর্শে আসছে না। এক্ষেত্রে চীনে স্কুল খোলার পর যখন শিশুরা স্কুলে যাবে তখন এ বিষয়ে জানা যাবে।", "doc2": "Həmin körpə bu diaqnozun qoyulduğu ən kiçik pasientdir. Artıq xəstəlik 1000-dən çox insanın ölümünə səbəb olub, 40 mindən çox şəxsə koronavirus diaqnozu qoyulub. Ancaq onların arasında uşaqların sayı çox az, demək olar ki, tək-tükdür. Xəstələnənlərin böyük əksəriyyəti çinlilərdir, ümumilikdə koronavirusa yoluxma halları 30-dan çox ölkədə qeydə alınıb. \"Journal of the American Medical Association\" tibb jurnalında dərc edilmiş araşdırmada virusun əsasən 40-59 yaş aralığındakı şəxslərə yoluxduğu, uşaqların nadirən xəsətləndiyi bildirilir. Bəs, bunun səbəbi nədir? Uşaqlar koronavirusa qarşı daha dözümlüdürlərmi? Simptomsuz xəstəlik? Bu fenomeni izah edən çox sayda versiya mövcuddur, ancaq ekspertlər virusun uşaqlara nə üçün daha az yoluxduğuna hələ qəti cavab verə bilmirlər. \"Bizə məlum olmayan səbəblərə görə, koronavirus azyaşlılara ya ümumiyyətlə təsir etmir, ya da xeyli yüngül nəticələnir\", - Redinq Universitetinin professoru, alim-virusoloq İen Cons belə deyir. Bəlkə də bəzi hallarda xəstəliyin simptomları ümumiyyətlə müşahidə olunmur və valideynlər uşaqlarını məhz buna görə həkimə aparmırlar. London Universiteti kollecinin müəllimi Natali Makdermott da bu versiyanı ağlabatan hesab edir: \"Adətən, 5 yaşına qədər uşaqların, o cümlədən, yeniyetmələrin orqanizmləri viruslara qarşı çox yaxşı mübarizə apara bilir. Onlarda xəstəlik daha yüngül keçir, ya da simptomları üzə çıxmır\". Eyni mənzərə 2003-cü ildə SARS virusu epidemiyası yayılarkən də müşahidə olunmuşdu. Onda 800 nəfər - bu virusa yoluxanların 10 faizi vəfat etmişdi. Bu virus da uşaqlara toxunmamışdı. Koronavirus epidemiyası başlayanda məktəblilər tətildə olub. Çin hökuməti bütün ölkə boyu tətili fevralın sonuna kimi uzadıb. Səbəb tətildirmi? Natali Makdermott hesab edir ki, xəsətliyin uşaqlar arasında az yayılması vaxtında tətbiq olunmuş profilaktik tədbirlərlə də izah edilə bilər - epidemiya zamanı bütün məktəblərin və uşaq baxçalarının qapadılması qərarı verilib, epidemiya təzə başlayanda isə ölkədə yeni il tətili olub. Hazırda Çinin bütün məktəblərində fevralın sonuna kimi tətil elan edilib. Makdermott həmçinin qeyd edir ki, böyüklərin öz övladlarını virusdan maksimum qorumaq cəhdləri də vəziyyətə təsir edə bilər: \"Böyüklər uşaqları yoluxma təhlükəsindən qoruyurlar, evdə xəstələnən olanda, ondan uzaq tuturlar\". O hesab edir ki, virus yayılmaqda davam edəcəyi halda ona yoluxanlarla təmasdan yayınmaq çətinləşəcək və izolyasiya imkanlarının azalması uşaqlar arasında xəstələnmə hallarının artmasına gətirib çıxaracaq. Ancaq koronavirusun sürətlə yayılması hələ ki, xəstələnən uşaqların sayını artırmayıb. SARS epidemiyasıyla müqayisəni davam etdirib demək olar ki, ABŞ-ın Xəstəliklərə Nəzarət və Onların Profilaktikası Mərkəzinin araşdırmaçıları 12 yaşdan kiçik uşaqların bu virusa daha az yoluxduğunu və stasionar müalicəyə daha az ehtiyac duyduqlarını bildirmişdi. Virusa yoluxan Uxan sakinlərinin böyük əksəriyyəti 40-59 yaş kateqoriyasına aiddir Koronavirus daha çox böyüklər üçün təhlükəlidir? Ancaq ekspertlər qeyd edirlər ki, uşaqlarda koronavirusa qarşı xüsusi immunitet olduğunu iddia etmək olmaz. Uşaqların bu virusa nadirən yaxalanmasını bu fakt izah edə bilər: xəstəliyin (məsələn, suçiçəyinin) ağırlaşması uşaqlarla müqayisədə böyüklər üçün daha təhlükəlidir. Onlar belə ağırlaşmaları daha pis keçirirlər. \"Bu, uşaqlarda koronavirusa qarşı xüsusi immunitet olmasından daha inandırıcı səbəbdir. Eyni zamanda, bu, onunla da izah edilə bilər ki, həkimlər xəstəlik simptomları müşahidə olunmayan və ya çox az görünən uşaqları müayinə etmirlər\", - Kardiff Universitetinin yoluxucu xəstəliklər üzrə eksperti Endryu Friman belə deyir. Oksford Universitetinin statistik epidemiologiya üzrə eksperti Krist Donelli onunla həmrəydir və Qonkonqun SARS epidemiyasıyla bağlı göstəricilərini nümunə gətirir: \"O vaxt həmkarlarımız belə qənaətə gəlmişdilər ki, balaca uşaqlar o xəstəliyi xeyli yüngül keçiriblər\". 40 min şəxsə koronavirus diaqnozu qoyulub, onların böyük əksəriyyəti çinlilərdir Xroniki xəstəlikləri olan böyüklərin immun sistemi virusa qarşı daha zəif mübarizə aparır. Diabet və ya ürək-damar sistemi xəstəlikləri koronavirusun daha ağır keçməsinə və daha kəskin ağırlaşmalara səbəb olur. İen Cons deyir ki, \"Adətən, pnevmoniya (koronavirusun daha tez-tez rast gəlinən ağırlaşmış halı) immun sistemi zəif olan adamlarda müşahidə olunur. Qrip və ya digər kəskin respirator virus infeksiyaları xəsətliklərində də eyni hal baş verir\". Koronavirus diaqnozunun qoyulduğu Uxan xəstəxanasındakı pasientlərin təxminən yarısında xroniki xəstəliklər olduğu aşkar edilib. Uşaqlar arasında koronavirusa yoluxma halları çox azdır. Hələ ki, bunun səbəbi məlum deyil Məgər uşaqlar infeksiyalara hamıdan tez yoluxmurlarmı? İen Djons deyir ki, uşaqlar respirator virus infeksiyalarına daha tez yoluxur və bu xəstəliklərin öz yaşıdları arasında yayılmasına səbəb olurlar. Ona görə də bizə elə gəlir ki, viruslara qarşı ən zəif yaş qrupu onlardır. Ancaq koronavirus epidemiyasında vəziyət fərqlidir. Ola bilsin ki, uşaqların immun sistemi daha güclüdür və ya uşaq orqanizmində virus daha az aqressiv olur və xəstəlik simptomsuz keçir deyə valideynləri onları həkimə aparmırlar. Beləliklə də uşaqlar arasında yoluxma hallarının rəsmi statistikası tam mənzərəni əks etdirmir. Uşaqların koronavirusa qarşı niyə başqalarından dözümlü olmasının səbəbləri yaxın zamanlarda daha aydın olacaq. Nikolay Voronin, BBC Rusiya Xidmətinin elm və texnologiya məsələləri üzrə müxbiri Uşaqlarda immunitetin daha güclü olması və onun xəstəliklərə daha asan adaptasiya etməsi məlum faktdır. Qızılca və suçiçəyi kimi xəstəliklər məhz buna görə uşaqlarda asan, yetkin yaşlılarda isə çoxsaylı ağırlaşmayla keçir. Kanada alimlərinin təxminən iki həftə əvvəl dərc olunmuş araşdırmasında göstərilir ki, körpənin yoluxduğu ilk virus qripinin növü onun orqanizminin respirator virus infeksiyalarına qarşı mübarizə imkanlarını müəyyən edir. Bu isə o deməkdir ki, hər hansı epidemiya zamanı həkimlər istənilən şəxsin nə qədər təhlükədə olduğunu əvvəldən müəyyən edə bilərlər - doğulduğu ilə və həmin ildə yayğın olmuş virusun növünə görə. \"İnsanların qrip kimi viruslara və ya hətta koronavirusa qarşı ilkin ümmuniteti onların yoluxma riskinə ciddi şəkildə təsir edə bilər. Bu immunitetin insanları xəstəliklərdən necə qoruduğunu və ya əksinə, onlar üçün hansı baxımdan təhlükə yaratdığını anlamaq çox vacibdir. Çünki bu, mövsümi epidemiyalar zamanı və ya yeni xəsətliklərlə bağlı epidemiyalarda hansı qrupların daha müdafiəsiz olduğunu müəyyənlişdirməkdə bizə kömək edər\", - araşdırma müəlliflərindən biri, immunoloq Mettyu Miller belə deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55960613", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan/2013/09/130913_iran_officials_facebook", "doc1": "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একটি, টেলিনর নিশ্চিত করছে, তাদেরকে 'পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত' গ্রাহকদেরকে ওই দুটি সাইটে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। 'স্থিতিশীলতা'র লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতারা। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের আটক করার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা শুক্রবার ইয়াঙ্গনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং অং সাং সু চির পক্ষে শ্লোগান দেয়। তারা লাল রঙের রিবন পরে ছিল। লাল রং দেশটির নেত্রী অং সান সু চির দলের রং। সোমবার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হলে সু চি এবং অন্য নেতাদের আটক করা হয়। এর আগে সেনাবাহিনী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বা এনএলডি পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করে। মিজ সু চি কে সোমবারের পর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। অং সান সু চি তার আইনজীবী বলছেন সোমবারের পর থেকে থেকে তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। এই আইনজীবী বলছেন তিনি সু চি এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের নিঃশর্ত মুক্তি চান । কিন্তু তিনি তাদের সাথে দেখা করতে পারছেন না। মিয়ানমার যেটা বার্মা নামেও পরিচিত, দেশটিতে সোমবারে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর শান্ত রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ ছাত্র-শিক্ষক জড়ো হয় দাগন ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে। তারা তিন আঙ্গুলের স্যালুট প্রদর্শন করছিল - এই স্যালুট এই এলাকার বিক্ষোভকারীরা রপ্ত করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। তারা মিজ সু চি পক্ষে স্লোগান দেয় এবং লাল পতাকা উড়ায়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, \"আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই ধরণের সেনাবাহিনীর একনায়কতন্ত্রের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে দিতে পারি না\"। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করা হলো কেন? পয়লা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান বহু মানুষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছে। ফেসবুকে মিয়ানমারে তথ্য ও সংবাদের প্রাথমিক উৎস। কিন্তু তিন দিন পর ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেয়া হয় এই সামাজিক মাধ্যমটিকে ব্লক করবার। ওই নিষেধাজ্ঞার পর, হাজার হাজার ব্যবহারকারী টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে সরব হয়। তারা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধাচারণ করে হ্যাশট্যাগ চালু করে। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ আর কেউ এ দুটি প্লাটফর্মেও ঢুকতে পারছিল না। এ নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না। কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মন্ত্রনালয়ের একটি দলিল তারা দেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে এই সামাজিক মাধ্যমদুটোকে ব্যবহার করা হচ্ছে 'মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে দিতে'। এই দলিলটি অবশ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। টুইটারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কথা বলার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ফেসবুক মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে 'মানুষের সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে, যাতে তারা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে'। ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। যে কারণে সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভ বিবিসির বার্মিজ বিভাগের নেইয়েন চ্যান বলছেন সেনা অভ্যুত্থানের প্রথম ধাক্কাটা মানুষের কাছ দুর্বিসহ ছিল। কিন্তু মানুষ এখন বুঝতে পারছে, কী হয়েছে এবং তারা এখন একটা বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং সেনা কর্তৃপক্ষ যতটা শক্ত করে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে ঠিক সেভাবেই তাদের বিরুদ্ধে আরো মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে। বিবিসির ঐ সংবাদদাতা বলছেন এখানকার মানুষ খুব ভালোভাবেই জানে যে সেনাবাহিনী ধরপাকড় চালাতে পারে। তাই এখনো পর্যন্ত রাস্তায় নেমে বড় ধরণের বিক্ষোভ কেউ করেনি। কিন্তু তাদের কথা যাতে মানুষ জানতে পারে সেই কারণে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যে শিক্ষক শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন তিনি বলছেন এটা তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য করেছেন। \"আমার ১৮ মাসের একটা সন্তান আছে। আমি সেনাশাসন এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। আমি প্রার্থনা করি আমার ছেলে একদম ভিন্ন রকম এক বার্মা কে বেড়ে উঠুক। এখন আমি নিশ্চিত না ভবিষ্যৎ কেমন হবে\" বলছিলেন তিনি। মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়েছে। যেটা সেনা অভ্যুত্থানের পর বড় আকারে হওয়া রাস্তার কোন বিক্ষোভ। কিছু শহর যেমন ইয়াগুনেরর বাসিন্দারা বাড়ীতে রাতের বেলা বিক্ষোভে শামিল হয়েছে, তারা থালা-বাসন বাজিয়ে এবং বিপ্লবী গান গেয়ে তারা এটা করেছে। এছাড়া দিনের বেলা ফ্ল্যাশমব হয়েছে। বিবিসি বার্মিজের সঙ্গে এক টেলিফোন কথোপকথনে ৭৯ বছর বয়সি এনএলডি পার্টির জ্যেষ্ঠ সমর্থক উইন থিয়েন বলেছেন তাকে রাজধানী নেপিডোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক করা হয়েছে। যার শান্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যদিও তিনি জানেন না তার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ। \"আমি যা বলছি সেটা তারা পছন্দ করছে না, আমি যা বলছি এতে তারা ভীত হচ্ছে\" বলছিলেন তিনি। রাখাইন স্টেটের ছবি এক নজরে মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ মিয়ানমার যার জনসংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সাথে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার শাসন করেছে দেশটি। যার কারণে নিন্দা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে দেশটি। গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে বছরের পর বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন অং সান সু চি। ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করলেও সামরিক বাহিনীর হাতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে অং সান সু চির ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু দুই বছর পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সামরিক বাহিনীর নির্মম অভিযানের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়টি সু চি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরায়। তবে নিজের দেশে জনপ্রিয়ই ছিলেন সু চি এবং ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনেও তার দল বিপুল জয় পায়। কিন্তু এর পর আবারো দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সামরিক বাহিনী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঘিরে হতাশা, চীনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ন্যূনতম স্কোর থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন না সব শিক্ষার্থী করোনার টিকা নেবার পর কতজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় - কী বলছে ব্রিটেনের জরিপ এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাস কমেছে ৫০ শতাংশ, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে?", "doc2": "Bazar ertəsi istifadəçilər gözlənilmədən şəbəkələrə sərbəst giriş əldə ediblər. Xidmətlərin açılması barədə xəbərləri internet-provayderlər yayıb və hakimiyyət rəsmi qaydaların mülayişmləşməsinə münasibət bildirməyib. İranın Mehr agentliyinin məlumatında açıq girişin texniki nasazlıqla bağlı olduğu göstərilir. Bu məlumatı təsdiqləyən AP agentliyi yazır ki, İran hökuməti sıradan çıxan internet filtrləri yenidən quraşdırıb. Bu yaxınlarda seçilmiş yeni prezident Həsən Ruhani senzura ilə mübarizə aparacağını deyib. Bəzi məlumatlara görə, prezident Həsən Rohaninin \"ümid və mötədillik\" adlandırdığı hökuməti hakimiyyətə gələndən bəri İranın ali vəzifəliləri tərəfindən Facebook-dan istifadə nəzərəçarpacaq dərəcədə artıb. Cənab Rohani özünün seçki kampaniyasında İranda internet məhdudiyyətlərini azaldacağını vəd etmişdi, indi isə onun hökumətindən bu istiqamətdə hərəkətə çağıran səslər getdikcə ucalmaqdadır. Lakin nazirlərin Facebook-dan istifadəsi barədə xəbərlər rejimi bir qədər qıcıqlandırıb. Kommunikasiya naziri Mahmud Va'ezi sentyabrın 11-də bəyan edib ki, rəsmi şəxslərə aid Facebook hesablarının öyrənilməsi üçün prezident yanında xüsusi komissiya yaradılacaq. İranda Facebook İranda Facebook 2009-cu ilin prezident seçkilərinin ardınca ölkədə yaranmış həycanlara görə qadağan edilmişdi və filtrlənirdi. Buna səbəb o idi ki, etirazçılar bu sosial şəbəkədən öz hərəkətlərini əlaqələndirmək üçün istifadə edirdilər. Bütün bunlara baxmayaraq, indinin özündə də İranda Facebook-dan və başqa sosial şəbəkələrdən virtual şəxsi şəbəkələr və ya süzgəclərdən yan keçən başqa mexanizmlər vasitəsilə geniş istifadə edirlər. Bu gün ölkədə 20 milyon insanın Facebook hesabının olduğu təxmin edilir. Facebook şəbəkəsi üzərində qadağanın mövcudluğuna baxmayaraq, Ali Dini Rəhbər Xamneyinin 2012-ci ilin dekabrında peyda olmuş Facebook hesabının həqiqi olduğu düşünülür. İranın yeni xarici işlər naziri Məhəmməd Cavad Zərif Facebook-da İran rəsmiləri arasında ən populyar şəxsdir. Həm də o, Facebook hesabının özünə aid olduğunu rəsmən elan edən yeganə vəzifəlidir. Zərif Facebook-a 2009-cu ildə qoşulub və avqustun 15-də namizədliyi Milli Məclis tərəfindən təsdiq olunduqdan sonra öz hesabaını daim təzələyir və bununla da çox sayda davamçı qazanıb. İndiyədək onun hesabında 178 min \"like\" var. O öz səhifəsindən davamçılarını öz fəaliyyəti və rəyləri barədə məlumatlandırmaq üçün istifadə edir. Zərif əsasən fars, bəzən isə ingiliscə post edir. Onun Facebook hesabının ünvanı www.facebook.com/jzarif-dir. Təkziblər, saxta hesablar Bir neçə İran rəsmisi son vaxtlar yaradılmış Facebook hesablarının onlara aid olmadığı barədə açıqlamalar veriblər. Bunlar, neft naziri Bican Namdar-Zəngəne, kommuniskasiyalar və informasiya texnologiyaları naziri Mahmud Vaezi və Xarici İşlər Nazirliyinin sözçüsü Mərziyə Əfxamdır. Əfxam deyib ki, onun adına yaradılmış saxta hesabın silinməsi üçün hüquq müstəvisində hərəkət edir. Bu arada İSNA agentliyi xəbər verir ki, İran rejiminin xaricdə yaşayan opponentlərindən biri bu saxta hesabı yaratdığını etiraf edib. Mötədillik və Ümid Kabinetinin İnformasiya Portalı adlı Facebook səhifəsi də neft naziri Namdar-Zəngəne tərəfindən saxta adlandırılıb. Başqa səhifələr Belə görünür ki, kabinetin başqa üzvlərinin də hesabları var və bu hesabların çoxu avqust ayında yaradılıb. Birinci vitse-prezident Əşaq Cahangirinin hesabında 25 min “like” var. O bu hesabın saxta olduğu barədə heç vaxt bəyanat verməyib. Özünün seçki kampaniyasında, cənab Rohani internetin filtrlənməsini pisləyib və deyib ki, “bu, hökumət və xalq arasında hasarı sərtləşdirir, iqtisadiyyata ziyan vurur və internetin faydalı tərəflərinin inkişafını əngəlləyir”. Bəzi rəsmilərin bəyanatları və media xəbərləri göstərir ki, Həsən Rohani hökumətinin içərisində sosial mediaya münasibətə yenidən baxılmasına meyl var. İranın Ali Kiberfəza Şurasının katibi Mehdi Axavanabadi deyib ki, sosial şəbəkələrə üzvlük qanunsuz bir iş deyil, lakin filtrləmə sisteminindən yan keçmək cəhdləri qanunsuzdur. Avqustun 10-da İranın İSNA agentliyi bildirib ki, yeni hökumət interneti süzgəcləmə barədə qaydaları ləğv edəcək: “Şaiyələrə görə, Rohani hökuməti indiyədək məlum olmayan səbəblər və ya siyasi mülahizələrlə filtrlənən bir sıra internet saytlarını açacaq”. Allahın lütfü Avqustun 8-də, keçmiş prezident və hazırda Nəzarət Şurasının sədri olan Əkbər Haşemi-Rəfsəncaninin internet saytında elə onun özünün 2012-ci ilin mayında verdiyi bəyanatın mətni yerləşdirilib. Həmin bəyanatda cənab Rəfsəncani Facebook-u “Allahın lütfü” adlandırır. Sentyabrın 10-da ingilisdilli Press TV kanalında canlı yayınlanan mətbuat konfransında Xarici İşlər Nazirliyinin sözçüsü Mərziyə Əfxam sosial şəbəkələrin faydasını təqdir edib və deyib ki, bu şəbəkələr iranlıların dünya ilə ünsiyyətini artıracaq. “Sosial media şəbəkələri ünsiyyət üçün yaxşı fürsətdir və İran xalqının haqq sözünün bütün dünyada eşidilməsi üçün imkan yarada bilər” – sözçü deyib. Bütün bunlara baxmayaraq, hökumət internet məhdudiyyətlərini yalnız Ali Dini Rəhbərin xeyir-duası ilə yüngülləşdirə bilər. İran siyasətində son söz məhz ona aiddir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53064712", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-53068302", "doc1": "ডাক্তার ওষুধের পরীক্ষা করছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্প মাত্রার স্টেরয়েড চিকিৎসা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই ওষুধ ব্যবহার করলে ভেন্টিলেটারে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমানো যাবে। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার এক পঞ্চমাংশ কমানো যাবে। বিশ্বে এই ওষুধ নিয়ে সর্ববৃহৎ যে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছিল এই ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়ও কাজ করবে কিনা। গবেষকরা অনুমান করছেন ব্রিটেনে যখন করোনা মহামারি শুরু হয়েছে তার প্রথম থেকেই যদি এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব হতো তাহলে পাঁচ হাজার পর্যন্ত জীবন বাঁচানো যেত। কারণ এই ওষুধ সস্তা। তারা বলছেন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ বিশালভাবে কাজে লাগতে পারে। এবং যেসব দেশ রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এটা তাদের জন্য বিশাল সুখবর। জীবন রক্ষাকারী যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। প্রতি বিশজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ১৯ জনই সুস্থ হয়ে ওঠেন যাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনই হয় না। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু কিছু রোগীর প্রয়োজন হয় অক্সিজেন চিকিৎসা অথবা কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেবার জন্য ভেন্টিলেটার লাগাতে হয় কারো কারোর। এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের জন্যই ডেক্সামেথাসোন সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ওষুধ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টায় মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন শরীরের ভেতর যে ক্ষতিগুলো হয়, এই ওষুধ ডেক্সামেথাসোন সেই ক্ষতি কিছুটা প্রশমন করতে পারবে বলে তারা পরীক্ষায় দেখেছেন। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন সেই প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় সাইটোকিন স্টর্ম যেটা প্রাণঘাতী হতে পারে। এই সাইটোকিন স্টর্ম শরীরের ভেতর ইমিউন ব্যবস্থায় এমন একটা ঝড়, যেখানে প্রতিরোধী কোষগুলো বাইরের সংক্রমণ ধ্বংস করার বদলে শরীরের সুস্থ কোষগুলোও ধ্বংস করতে শুরু করে। যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে শুরু করে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল রোগীর ওপর পরীক্ষা চালায়। তাদের ডেক্সামেথাসোন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এদের সঙ্গে তুলনা করা হয় চার হাজারের বেশি রোগীর যাদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। গবেষকরা বলছেন এরকম যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে আছেন বা যারা অক্সিজেন চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বাঁচাতে এই নতুন ওষুধ সাহায্য করবে দেখা গেছে যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫% থেকে কমে আসে ২০%। অনুসন্ধান দলের প্রধান অধ্যাপক পিটার হরবি বলেছেন: \"এখনও পর্যন্ত এটাই একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে বলে দেখা যাচ্ছে। এবং এই ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।\" প্রধান গবেষক অধ্যাপক মার্টিন ল্যানড্রে বলছেন এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ভেন্টিলেটারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এমন প্রতি আট জন রোগীর মধ্যে একজনের প্রাণ এই ওষুধ দিয়ে বাঁচানো সম্ভব। আর যেসব রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের প্রতি ২০ থেকে ২৫ জনের মধ্যে একজনের জীবন এই ওষুধে বাঁচবে। \"এই ওষুধের সুস্পষ্ট, সুস্পষ্ট সুফল আছে। এই চিকিৎসায় রোগীকে ডেক্সামেথাসোন দিতে হবে ১০দিনের জন্য। এর জন্য খরচ হবে রোগী প্রতি প্রায় ৫ পাউন্ড। আর এই ওষুধ পৃথিবীর সব দেশে পাওয়া যায়।\" অধ্যাপক ল্যানড্রে বলছেন, হাসপাতালে রোগীকে প্রয়োজন হলে এখন দেরি না করে এই ওষুধ দেয়া উচিত। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কেউ যেন এই ওষুধ বাজার থেকে কিনে ঘরে মজুত করে না রাখেন। যাদের করোনাভাইরাসের হালকা উপসর্গ দেখা দেবে, অর্থাৎ যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন কাজ করবে না। মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ওষুধ নিয়ে ট্রায়াল চালানো হচ্ছিল। যেসব ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার মধ্যে ছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও।এই ওষুধটির ওপর পরীক্ষা পরে বাতিল করে দেয়া হয়, কারণ এই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় হার্টের সমস্যা এবং অন্য প্রাণনাশক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। আরেকটি ওষুধ রেমডেসিভির, যেটি অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সেটি সেরে ওঠার সময় কিছুটা তরান্বিত করতে পারে বলে দেখা যাবার পর করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Britaniya ekspertlərinə görə, aşağı dozalı bu steroid dərman ölümcül virus ilə mübarizədə böyük bir irəliləyiş deməkdir. Bu preparat süni tənəffüs aparatlarına qoşulmuş xəstələr arasında ölüm riskini üçdə bir azalda bilər. Oksigen verilən xəstələr arasında isə bu preparat ölüm əmsalını beşdə bir azaldıb. Bu dərman koronavirusun müalicəsi üçün dünya boyu keçirilən sınaqların ən iri miqyaslısı çərçivəsində yoxlanılıb. Tədqiqatçılar hesab edirlər ki, bu preparat koronavirus pandemiyası başlayan dövrdən Britaniyada xəstələrin müalicəsi üçün istifadə olunsaydı, o zaman 5000-dək xəstənin həyatını xilas etmək olardı. Bu preparat ucuz olduğundan, Covid-19 xəstələrinin çox olduğu yoxsul ölkələrdə onun istifadəsi böyük fayda gətirəcəyinə inanılır. Britaniyada sınaqlara Oxford Universitetinin komandası rəhbərlik edib. Britaniya səhiyyə rəsmilərinə görə, koronavirus xəstələrinin 20-dən 19-u xəstəxanaya getmədən sağalırlar. Xəstəxanaya aparılanların çoxuna isə oksigen və ya mexaniki ventilyator lazım olur. Deksametazon məhz ağır vəziyyətdə olan xəstələrə kömək edir. Bu dərmandan artrit, astma və bəzi dəri xəstəlikləri zamanı istifadə olunur. Onun koronavirusla mübarizə aparan bədənin immun sisteminə dəymiş bəzi zərəri dayandırmağa yardım etdiyi güman edilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53210484", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51997684", "doc1": "পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটির বেশি গত বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম যখন 'অজানা' একটি ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন মানুষ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি যে সেই ভাইরাসটি পরের ৬ মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবীকে ওলট পালট করে দেবে। শুরুর দিকে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হওয়া শুরু করে তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কর্তৃপক্ষই সংক্রমণটিকে ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বাড়তে থাকে, তখন পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশ বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানা যাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো পর্যন্ত টাইমলাইন সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর উহান মিউনিসিপাল কমিশন হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টার শনাক্ত করার কথা জানায়। নতুন এক ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ৪ঠা জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইটে উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টারের তথ্য প্রকাশ করে। ৫ই জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভাইরাসের মাধ্যমে একটি রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকা সংক্রান্ত কিছু উপদেশ লিপিবদ্ধ করা হয়। ১২ই জানুয়ারি চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করে। ১৩ই জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর জানা যায় থাইল্যান্ডে। ২২শে জানুয়ারি ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় - এই তথ্য প্রথমবার নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। ২৩শে জানুয়ারি ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহানকে চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ২রা ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। ততদিনে চীনে তিনশো'র বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া রোগের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় কোভিড-১৯। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইউরোপে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে। ৭ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। ১১ই মার্চ করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ই মার্চ ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে একসাথে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করে ফ্রান্স। ২৭শে মার্চ পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। ৩রা এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। ৪ঠা এপ্রিল বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। ১১ই এপ্রিল কোভিড-১৯ এ মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখে। ২৩শে মে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়।", "doc2": "Universitetin son məlumatlarına görə, Covid-19-a yoluxanların ən çox olduğu ölkələr ABŞ, İtaliya, İspaniya, Almaniya, Çin, Fransa, İran, İngiltərə, İsveçrə və Türkiyədir. Bu virusdan ölənlərin ən çox olduğu ölkələr isə İtaliya, İspaniya, ABŞ, Fransa, Çin, İran, İngiltərə, Hollandiya, Almaniya, və Belçikadır. ABŞ ABŞ prezidenti Donald Trump şənbə günü küçirdiyi brifinqdə amerikalılara indiyədək olanlardan ən \"çətin həftəyə\" hazırlaşmağı məsləhət görüb və \"çox sayda ölüm hallarının\" olacağı barədə xəbərdarlıq edib. ABŞ hazırda koronavirusa yoluxanların sayına görə dünyada birincidir - yoluxanların sayı 310000-i keçib, ölənlərin sayı isə təxminən 8500 nəfərdir. Bundan əvvəl prezident Donald Trump bildirimişdi ki, \"ölüm nisbətinin ən yüksək nöqtəsi iki həftə ərzində olacaq\". Eyni zamanda, prezident Trump ABŞ-da Covid-19-a görə tətbiq edilən sosial məsafə gözlənilməsi qaydalarının aprelə təsadüf edən xristian aləminin qeyd etdiyi pasxa bayramı günlərində yumşaldılmasını da təklif edib. \"Biz ölkəmizi yenidən açmalıyıq\",- Donald Trump şənbə günü Ağ Evdə keçirilən brifinqdə bildirib. - Biz bunu aylarla davam etdirmək istəmirik\". Ölkədə sosial məsafə kimi koronavirusa qarşı mübarizə qaydalarının aprelin sonunadək tətbiq ediləcəyi gözlənilir. İspaniya Bu ölkə aşkar edilmiş koronavirus hallarının sayına görə dünyada ikinci yerə keçib - burada son məlumatlara görə, 126 168 nəfər Covid-19-a yoluxub. Lakin virusdan ölənlərin sayına görə ölkə İtaliyadan sonra ikinci yerdədir: şənbə gününə olan məlumatlara əsasən, İspaniyada Covid-19-dan 11 947 nəfər ölüb. İtaliya Dünyada koronavirusdan ən çox ölüm sayı (15 362 nəfər) İtaliyadadır. Burada Covid-19 virusuna yoluxan insanların sayı 124 632 nəfər təşkil edib. Almaniya Dünya üzrə ən çox yoluxanların sayına görə Almaniya beşinci ölkədir. Almaniyada koronavirusa yoluxanların sayı 80 641, ölənlərin sayı isə 997 nəfər təşkil edib. Almaniya hökuməti ölkədə iki nəfərdən artıq qruplara toplaşmağı qadağan edib. Almaniya kansleri Angela Merkel bazar günündən karantin rejiminə keçməli olub, çünki məlum olub ki, cümə günü ona profilaktik peyvənd vuran həkim də koronavirusa yoluxub. Fransa İspaniya aşkar edilmiş koronavirus hallarının sayına görə dünyada yeddinci yerdədir - burada Covid-19-a 57 780 nəfər yoluxub. Lakin virusdan ölənlərin sayına görə isə ölkə bir pillə yuxarıda olan Almaniyanı xeyli qabağlayıb: Fransada Covid-19-dan ölənlərin sayı 4 032 nəfərə çatıb. Çin Koronavirus epidemiyasının beşiyi Çinin Uhan şəhəri sayılsa da, hazırda bu ölkə Covid-19 virusuna yoluxanların ümumi sayına görə dünyada dördüncü yerə düşüb. Çində Covid-19-a yoluxanların sayı son məlumatlara əsasən, 82 431 nəfər, bu virusdan ölənlərin sayı isə Çinin Hubei vilayətində 3 199 nəfər təşkil edir. İran Azərbaycanın cənub qonşusu olan İranda koronavirusa yoluxanların sayı 50 468 nəfərə çatıb və bu göstəriciyə görə ölkə dünyada altıncı yerdədir. Covid-19-dan ölənlərin sayı isə İranda bazar günü günorta 3 160 nəfər təşkil edib. Britaniya Britaniya koronavirusa yoluxanların sayına görə dünyada səkkizinci yeri tutur - burada Covid-19-a yoluxanların ümumi sayı şənbə günü 34 116 nəfərə çatıb, ölənlərin sayı isə 2 921 nəfərdir. Burada bazar ertəsi günündən başlayaraq əhalidən üç həftə evdə qalmaq istənilib. Onlar yalnız \"tamamilə zəruri\" işə gedib-gələ, nadir hallarda \"əsas ehtiyaclar\" üçün bazarlıq edə və tibbi səbəb olduğu zaman küçəyə çıxa bilərlər. Ölkədə iki nəfərdən artıq və ailə üzvü olmayan şəxslərin toplaşması qadağandır. Bazar günü Britaniya hökumətinin kabinet naziri Michael Gove koronavirusla bağlı ölkədə tətbiq edilən sərt tədbirlərin \"uzun müddət\", təxminən 6 ayadək davam edə biləcəyinə hazır olmağın vacibliyini vurğulayıb. Türkiyə Türkiyədə koronavirusa ümumilikdə yoluxanların sayı bazar günü günorta 15 679 nəfər təşkil edib. Bu göstəriciyə görə, ölkə dünyada 10-cu yerdədir. Türkiyədə Covid 19-dan ölənlərin sayı isə 277 nəfər təşkil edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39340155", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39338278", "doc1": "বিমানবন্দরে ল্যাপটপ স্ক্যান করছেন এক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, চরমপন্থীরা উড়ন্ত জেট বিমান উড়িয়ে দেয়ার জন্য আরও নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ল্যাপটপ, ট্যাব, ক্যামেরা, ডিভিডি প্লেয়ার বা ইলেকট্রনিক গেমস কনসোলের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রাখা সম্ভব। সে কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোনকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশের দশটি বিমানবন্দর থেকে যেসব ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রে যায়, সেগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। কেবিন লাগেজে বা যাত্রীর সঙ্গে এ ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্র রাখা না গেলেও 'চেক ইন' করা বড় লাগেজে তা নেয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব এয়ারলাইন্সকে ৯৬ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে এধরণের যন্ত্র ফ্লাইটে নিষিদ্ধ করার জন্য। কতদিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো তা উল্লেখ করা হয়নি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনকে টার্গেট করে হামলার চেষ্টা করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উদ্বিগ্ন। দশটি বিমানবন্দর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে যে নয়টি এয়ারলাইন্স এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে: যেসব বিমানবন্দর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে:", "doc2": "The new directive is expected to affect airlines from 13 countries BBC-ə danışan rəsmi mənbə bildirib ki, məhdudiyyət 10 hava lımanından uçan 9 aviaşirkətə tətbiq olunur. Qadağa əsasən Yaxın Şərq və Şimali Afrika ölkələrini əhatə edir. ABŞ mətbuatı bildirir ki, məhdudiyyət xaricdən daxil olmuş kəşfiyyat məlumatları əsasında qəbul edilib. Xəbər verilir ki, qadağa altına noutbuk, planşet compüter və DVD pleyer kimi iri elektron qurğular düşür. Məhdudiyyətlər telefonlara şamil edilmir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48678025", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-48717465", "doc1": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বা ডাব্লিউএইচও, এই প্রবণতা সম্পর্কে এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা একে ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য ১০টি চরম হুমকির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। টিকা কাজ করে কীভাবে? রোগ প্রতিষেধক টিকা বা ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগের দুর্বল কিংবা মৃত ব্যাকটেরিয়া রোগীর দেহে ঢোকানো হয়। কীভাবে টিকা আবিষ্কৃত হলো? টিকা তৈরি হওয়ার আগে বিশ্ব ছিল অনেক বেশি এক বিপদজনক জায়গা। এখন সহজেই আরোগ্য করা যায় আগে এমন সব রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত। টিকার ধারণা তৈরি হয় চীনে। ১০ম শতাব্দীতে 'ভ্যারিওলেশন' নাম এক চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল যেখানে অসুস্থ রোগীর দেহ থেকে টিস্যু নিয়ে সেটা সুস্থ মানুষের দেহে বসিয়ে দেয়া হতো। এর আট শতাব্দী পরে ব্রিটিশ ডাক্তার এডওয়ার্ড জেনার লক্ষ্য করলেন দুধ দোয়ায় এমন গোয়ালিনীরা গরুর বসন্তে আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে প্রাণঘাতী গুটি বসন্তের সংক্রমণ একেবারেই বিরল। সে সময় গুটিবসন্ত ছিল সবচেয়ে ভয়ানক এক সংক্রামক ব্যাধি। এই রোগ যাদের হতো তাদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ মারা যেত। আর যারা বেঁচে থাকতেন তারা হয় অন্ধ হয়ে যেতেন, কিংবা তাদের মুখে থাকতো মারাত্মক ক্ষতচিহ্ন। সতেরশো ছিয়ানব্বই সালে ড. জেনার, জেমস ফিপস্ নামে আট বছর বয়সী এক ছেলের ওপর এক পরীক্ষা চালান। তিনি গরুর বসন্ত, যেটি কোন মারাত্মক রোগ না, তার থেকে পুঁজ সংগ্রহ করে সেটা ইনজেকশন দিয়ে ঐ ছেলের শরীরে ঢুকিয়ে দেন। কিছুদিন পর জেমস ফিপসের দেহে গরুর বসন্তের লক্ষণ ফুটে ওঠে। ঐ রোগ ভাল হয়ে যাওয়ার পর তিনি ছেলেটির দেহে গুটিবসন্তের জীবাণু ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু দেখা গেল জেমস ফিপসের কোন গুটি বসন্ত হলো না। গরুর বসন্তের জীবাণু তাকে আরও মারাত্মক গুটি বসন্ত থেকে রক্ষা করেছে। ড. জেনারের এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ১৭৯৮ সালে। বিশ্ব এই প্রথম ভ্যাকসিন শব্দটার সাথে পরিচিত হলো। 'ভ্যাকসিন' শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'ভ্যাক্সা' থেকে যার অর্থ গরু। টিকা বা ভ্যাকসিনের সাফল্য কোথায়? গত এক শতাব্দীতে টিকা ব্যবহারের ফলে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কমেছে। উনিশশো ষাটের দশক থেকে হামের টিকা ব্যবহার শুরু হয় । কিন্তু তার আগে এই রোগে প্রতি বছর ২৬ লক্ষ লোক প্রাণ হারাতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামের টিকা ব্যবহারে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০% কমে আসে। সম্পর্কিত খবর: গুটি বসন্তের শেষ মহামারির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় কয়েক দশক আগেও লক্ষ লক্ষ মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব কিংবা মৃত্যু বরণ করতেন। এখন পোলিও প্রায় নির্মূল হয়েছে। টিকা ব্যবহারে কেন কিছু মানুষের অনীহা? টিকা আবিষ্কারের সময় থেকেই চিকিৎসার নতুন এই পথ নিয়ে সন্দেহ ছিল। আগে মানুষ ধর্মীয় কারণে টিকার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন। তারা মনে করতেন টিকার মাধ্যমে দেহ অপবিত্র হয়। এটা মানুষের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার খর্ব করে বলেও কিছু মানুষ মনে করতেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে টিকা-বিরোধী লিগ গড়ে ওঠে। তারা বিকল্প ব্যবস্থার পরামর্শ দিতেন, যেমন রোগীকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া। ব্রিটিশ টিকা-বিরোধী ব্যক্তিত্ব উইলিয়াম টেব যুক্তরাষ্ট্র সফর করার পর সেখানেও এই ধরনের সংগঠন গড়ে ওঠে। সম্প্রতি কালে টিকা-বিরোধী ব্যক্তিত্বদের একজন হলেন অ্যান্ড্রু ওয়েকফিল্ড। তিনি ১৯৯৮ সালে এক রিপোর্ট প্রকাশ করেন যেটিতে তিনি এক ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন যাতে তিনি দাবি করেন এমএমআর ভ্যাকসিনের সাথে অটিজম এবং পেটের অসুখের যোগাযোগ রয়েছে। এমএমআর হচ্ছে একের ভেতর তিন টিকা। এটা শিশুদের ওপর ব্যবহার করা হয় হাম, মাম্পস, এবং রুবেলা (যাকে জার্মান মিসলস বলা হয়) প্রতিরোধের জন্য। পরে তার ঐ গবেষণা ভুয়া বলে প্রতিপন্ন হয় এবং তার মেডিকেল ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু তার ঐ দাবির পর টিকা নেয়া শিশুর সংখ্যা কমে আসে। শুধুমাত্র ব্রিটেনেই ২০০৪ সালে এক লক্ষ শিশু কম টিকা নেয়। এর ফলে সে দেশে হামের প্রকোপ বেড়ে যায়। হাম আক্রান্ত এক শিশু। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: সংসদে বিএনপি সদস্যদের বক্তব্য কী প্রভাব রাখছে? মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করার আদেশ মোহাম্মদ মোরসি: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্টের উত্থান ও পতন টিকাদানের ইস্যুটিকে ঘিরে রাজনীতিও বাড়ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাত্তেও সালভিনি বলেছেন তিনি টিকা-বিরোধীদের দলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই বলার চেষ্টা করেছিলেন যে টিকার সাথে অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি তিনি সব শিশুকে টিকা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। টিকা নেয়ার ঝুঁকি কোথায়? যদি জনসংখ্যার একটা বড় অংশ টিকা নেন তাহলে রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এর ফলে যাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাও রোগের কবল থেকে রক্ষা পান। একে বলা হয় 'গোষ্ঠীবদ্ধ প্রতিরোধ'। কিন্তু এই ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোন পরিবর্তন ঘটলে সেটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। গোষ্ঠীবদ্ধ প্রতিরোধের জন্য কত লোককে টিকা দিতে হবে তা নির্ভর করে রোগের ওপর। যেমন, হামের ক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীর ৯৫% লোককে টিকা দিতে হয়। কিন্তু কম সংক্রামক ব্যাধি পোলিওর জন্য ৮০%-র বেশি হলেই চলে। গত বছর নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে অতি-কট্টর ইহুদি মহল্লায় কিছু লিফলেট বিতরণ করে বলা হয়েছিল টিকার সাথে অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে। এর পর যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামের প্রাদুর্ভাবের জন্য ঐ গোষ্ঠীকেই দায়ী করা হয়েছিল। গত বছর ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার হুঁশিয়ার করেছিলেন এই বলে যে সাধারণ মানুষ যেন সোশাল মিডিয়ায় টিকার ওপর ভুয়া খবর পড়ে প্রতারিত না হন। মার্কিন গবেষকরা দেখিয়েছেন রাশিয়ায় তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে অনলাইনে টিকার ওপর মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সারা বিশ্বে ৮৫% শিশুকে টিকা দেয়ার হার গত কয়েক বছর ধরে অপরিবর্তিতই রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ শিশুর প্রাণরক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। যেসব দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলেছে বা যেখানে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল সেখানে টিকা দেয়ার চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, উন্নত দেশগুলিতেও এই বিষয়ে একটা ঢিলেমি এসেছে। কারণ এসব রোগ যে কত ভয়াবহ হতে পারে সেটা তারা ভুলেই গেছে। (এই প্রতিবেদনটি যারা তৈরি করেছেন: রোল্যান্ড হিউজেস, ডেভিড ব্রাউন, টম ফ্রান্সিস-ইউনিংটন এবং শন উইলমট।)", "doc2": "Ümümdünya Səhiyyə Təşkilatının məlumatına əsasən, 2019-cu ilin ilk üç ayı ərzində dünya boyu qızılca xəstəliyinə tutulma halları ötən ilin eyni dövrü ilə müqayisədə dördqat artıb Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) bu durumdan o qədər narahatdır ki, 2019-cu ildə problemi dünya səhiyyəsinə ən böyük on təhlükə siyahısına daxil edib. \"Wellcome Trust\" təşkilatı dünyadakı vaksinasiyayla bağlı 142 ölkədən 140 min adamın cəlb edildiyi çox böyük bir araşdırma aparıb. Peyvəndi kim icad edib? Peyvəndlər icad olunana qədər dünya bugünkündən çox-çox təhlükəliydi. Hər il milyonlarla insan müalicəsi mümkün olan xəstəliklərdən ölürdü. Peyvəndin ilk formasını X əsrdə Çində icad ediblər. Bu, variolyasiya adlanan üsuluydu - immuniteti gücləndirmək üçün sağlam insana çiçək qabarcıqları yeridirdilər. Səkkiz əsr əvvəlsə britaniyalı həkim Edward Jenner müşahidə etmişdi ki, sağıcı qadınlar tez-tez inək çiçəyinə yoluxurlar, amma ölümcül qara çiçəyə onlarda nadir hallarda rast gəlinir. Qara çiçək son dərəcə yoluxucu infeksion xəstəlikdir, o vaxt bu xəstəliyə yoluxulanların üçdə biri həyatını itirirdi. Peyvəndlər icad olunana qədər dünya bugünkündən çox-çox təhlükəliydi Digərlərisə ya kor olur, ya da ömrünün sonuna kimi çapıqlarla yaşayırdı. 1796-cı ildə Jenner səkkiz yaşlı James Phipps üzərində təcrübə aparır. O, pasientə inək çiçəyi ştammı yeridir və tezliklə oğlanda xəstəliyin əlamətləri yaranır. James Phipps sağalandan sonra Jenner ona qara çiçək virusunu peyvənd edir, amma bu dəfə uşaq xəstələnmir: inək çiçəyi onun immunitetini möhkəmləndirmişdi. 1798-ci ildə bu eksperimentin nəticələri dərc olunur və \"vaksina\" sözü meydana gəlir (\"vacca\" latın dilində \"inək\" deməkdir). Vaksinasiyanın başlıca uğurları hansılardır? Son yüz ildə peyvəndlər bir çox xəstəliyin zərərlərini azaltmağa kömək edib. 1960-cı illərdə qızılcaya qarşı peyvənd icad olunana qədər hər il bu xəstəlikdən təxminən 2,6 milyon adam ölürdü. ÜST-nin məlumatlarına görə, 2000-2017-ci illər aralığında qızılca ölümlərinin sayı 80 faiz azalıb. Cəmi bir neçə on il əvvəl milyonlarla insan poliomelit xəstəliyinin qurbanı olurdu - bu xəstəliyə yoluxanları ya iflic, ya da ölüm yaxalayırdı. Hazırda poliomelit tamamilə yox olub. Nə üçün insanlar vaksinasiyaya qarşı çıxırlar? Peyvəndin ilk formasını X əsrdə Çində icad ediblər Vaksinlərə qarşı üsyan yeni peyvəndlər icad olunandan dərhal sonra başlayıb. Əvvəlcə insanların şübhəsini dini motivlərlə izah edirdilər - çoxları hesab edirdi ki, vaksinlər murdardır və ya şikayətlənirdilər ki, onları seçmək hüququndan məhrum edirlər. XIX əsrin əvvəllərində Britaniyada alternativ müalicə üsullarını, məsələn, pasientlərin izolyasiyasını təbliğ edən antivaksin liqaları yarandı. 1870-ci illərdə vaksinasiya əleyhdarları ABŞ-da da peyda oldu - briyaniyalı aktivist William Tebb bu ölkəyə gedəndən sonra. Ən yeni tarixin antivaksinasiya hərəkatının əsas fiqurlarından biri londonlu həkim Andrew Wakefield idi. 1998-ci ildə dərc etdirdiyi hesabatda o, autizmi və bağırsaq xəstəliyini səhvən MMR vaksiniylə əlaqələndirdi. MMR - qızılcaya, parotitə (\"svinka\"ya) və məxmərəyə qarşı uşaqlara vurulan qarışıq vaksindir Andrew Wakefield-in iddiaları təkzib edildi və onun adı Britaniyanın tibbi qeydiyyat siyahısından çıxarıldı, buna baxmayaraq onun açıqlamasından sonra uşaqları peyvənd etdirməkdən kütləvi imtina halları yarandı. Təkcə 2004-cü ildə Britaniyada 100 min uşaq MMR peyvəndindən kənarda qaldı. Bu, ölkədə qızılca xəstəliyinin artmasıyla nəticələndi. Peyvənd mövzusu geniş miqyasda siyasiləşdi. Məsələn, İtaliyanın daxili işlər naziri Matteo Salbini elan etdi ki, o da vaksinasiyaya qarşı çıxanlardandır. ABŞ prezidenti Donald Trump-sa heç bir sübut gətirmədən vaksinasiyanı autizmlə əlaqələndirmişdi, amma bu yaxınlarda valideynlərə səslənərək övladlarını peyvənd etdirməyi məsləhət gördü. Vaksinasiyaya münasibətlə bağlı beynəlxalq araşdırma göstərir ki, dünyada vəziyyət ümumən müsbətdir, amma Avropada, ilk növbədə Fransada peyvəndlərə etimad səviyyəsi hələ ki, aşağıdır. Risk varmı? Əhalinin böyük hissəsinin peyvənd olunması xəstəliklərin yayılmasına mane olur və bu, zəif immunitetli, o cümlədən, peyvənd olunmayan insanları da yoluxmalardan qoruyur. Buna kollektiv immunitet deyilir, o pozulanda daha çox insanın xəstələnməsi riski yaranır. Kollektiv immunitetin qorunması üçün peyvənd olunmalı insanların sayı xəstəliyin növünə görə dəyişir. Məsələn, qızılca üçün bu rəqəm 95 faiz təşkil edir, daha az yoluxucu olan poliomielit üçün - 80 faizdən çox. Keçən il Brookly-nin yəhudi icması vaksinləri yanlış olaraq autizimlə əlaqələndirən vərəqəllər yaymışdı. ABŞ-da son onilliklərdə baş vermiş çox böyük qızılca epidemiyasında da bu cəmiyyətin adı hallanmışdı. İngiltərənin baş həkimi ötən il xəbərdarlıq etmişdi ki, çox sayda insan vaksinlərlə bağlı sosial şəbəkələrdən yanlış informasiyalar alır. Amerikalı alimlər Rusiyadan olan internet-botların vaksinlərlə bağlı doğru olmayan məlumatlar yaydığını bəyan etmişdilər. ÜST-nin məlumatına görə, son illərdə dünya üzrə lazımi peyvəndlərə cəlb edilən uşaqların say nisbəti dəyişməyib və 85% təşkil edir. Təşkilatın ekspertləri bildirirlər ki, hələ də peyvəndlər hər il iki-üç milyon arası ölümün qarşısını alır. Vaksinasiyayla bağlı ən pis vəziyyət hərbi münaqişələrin olduğu və səhiyyə sisteminin inkişaf etmədiyi ölkələrdədir. Məsələn, Əfqanıstan, Anqola və Konqo Demokratik Respublikası kimi. ÜST-yə görə, daha bir problem inkişaf etməkdə olan ölkələrdə əhalinin arxayınçılığıdır. Başqa sözlə - insanlar bu xəstəliklərin zərərini unudublar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51341305", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51281420", "doc1": "হাঁসমুরগির মতো প্রাণী থেকে মানুষের দেহে অতীতে রোগ ছড়িয়েছে সাধারণত নতুন কোন সংক্রামক ভাইরাস একবারই মাত্র ছড়াতে পারে বলে মনে করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি ছড়িয়েছে বন্যপ্রাণী থেকে - এমনটাই ধারণা। প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ছড়ানো ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে - তা এই সংকটের মধ্যে দিয়ে বোঝা যাচ্ছে। রয়াল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স-এর গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক টিম বেনটন বলছেন, গত ৫০ বছরে বেশ কয়েকবারই এমন হয়েছে যে - কোনো প্রাণীর দেহ থেকে সংক্রামক রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে ঢুকে পড়েছে। ১৯৮০-এর দশকে বানরজাতীয় প্রাণী থেকে এইচআইভি/এইডস ভাইরাসের সূচনা হয়েছিল। ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত এভিয়ান ফ্লু ছড়িয়েছিল পাখী থেকে। বাদুড় থেকে করোনাভাইরস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয় শূকরের দেহ থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে ২০০৯ সালে দেখা দিয়েছিল সোয়াইন ফ্লু। কিছুকাল আগে বাদুড় এবং গন্ধগোকুল থেকে ছড়ায় সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স নামের রোগ। আফ্রিকায় ছড়ানো ইবোলা রোগেরও সূচনা হয়েছিল বাদুড় থেকে। করোনাভাইরাসের ব্যাপারে ধারণা করা হয় উহান শহরের একটি অবৈধ বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজার থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। প্রথমে শোনা যায় সাপ থেকে, এবং পরে বাদুড় থেকে এ রোগ ছড়ানোর কথা বলা হয়। সত্যি কথা হলো, মানুষ সব সময়ই প্রাণীর দেহ থেকে আসা নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মানবদেহে নতুন নতুন যেসব সংক্রমণ দেখা দেয় - তার বেশিরভাগই আসে প্রাণী, বিশেষত বন্যপ্রাণী থেকে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস:কারা ঝুঁকিতে, শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী পৃথিবীর অনেক বড় শহরেই এখন নানা বন্যপ্রাণী ও মানুষ পাশাপাশি বাস করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বায়নের জন্য ভবিষ্যতে এরকম সমস্যা আরো হতে পারে, কারণ প্রাণীর সাথে মানুষের যোগাযোগের প্রকৃতিও এসব কারণে বদলে যাচ্ছে। কিভাবে এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতিতে রোগ ছড়ায়? বেশির ভাগ প্রাণীর দেহেই বাস করে নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস - যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এদের বলা হয় প্যাথোজেন। এই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এক রকম অণুজীব - যাদের বাসস্থান হচ্ছে অন্য প্রাণীর দেহ, আর তার লক্ষ্য হচ্ছে ক্রমাগত বংশবৃদ্ধি করে টিকে থাকা। অন্যদিকে প্রাণীর দেহে যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা 'ইমিউন সিস্টেম' থাকে তার কাজ হলো এইসব ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসকে মেরে ফেলা। করোনাভাইরাস তাই এইসব অণুজীবদের টিকে থাকার একটি উপায় হলো নতুন নতুন হোস্ট বা নতুন প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে পড়া । অন্যদিকে সেই নতুন হোস্টদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারও কাজ হচ্ছে ক্রমাগত নতুন অনুপ্রবেশকারীর মোকাবিলা করতে থাকা। এই লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য ভাইরাসগুলোও ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটাতে থাকে যাতে নতুন হোস্ট প্রাণীর ইমিউন সিস্টেম তাদের ঘায়েল করতে না পারে। সব প্রাণীর দেহেই প্যাথোজেন বনাম ইমিউন সিস্টেমের মধ্যে পরস্পরকে ধ্বংস করার এই নিরন্তর লড়াই চলতে থাকে। এইচআইভি ভাইরাস যেমন, ২০০৩ সালে সার্স মহামারীর সময় আক্রান্ত লোকদের ১০ শতাংশ মারা গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের একটা সাধারণ ফ্লু মহামারীতে মারা যায় মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ লোক। এখন পরিবেশ ও আবহাওয়ার পরিবর্তনে প্রাণীজগতেও পরিবর্তন আসছে অনেক। প্রাণীদের বাসস্থান বদলে যাচ্ছে, তারা কি খাচ্ছে এবং তাদেরকে কে খাচ্ছে - তাও বদলে যাচ্ছে। মানবজাতির ৫৫ শতাংশই এখন শহরে থাকে। এই সব বড় বড় শহরে বাসা করছে বন্যপ্রাণীরা - ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, শিয়াল, নানা রকম পাখী, বানরসহ বহু প্রাণীই শহরের পার্কে থাকে, তারা মানুষের ফেলে দেয়া খাবার খায়। এর ফলে শহরগুলো হয়ে উঠছে নানা রকম রোগের বিবর্তনের কেন্দ্র । মিয়ানারে বন্যপ্রাণীর বাজার শহরে বহু মানুষ পরস্পরের খুব কাছাকাছি বাস করে, তারা একই অফিস ভবনে কাজ করছে, এক বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে, একই ট্রেন-বাস-বিমানে উঠছে, বহু লোক একই জিনিস স্পর্শ করছে - তাই রোগ ছড়াতেও পারছে খুব সহজে। কোন কোন সংস্কৃতিতে শহরের মানুষ বন্যপ্রাণীর মাংস খায়। এসব বন্যপ্রাণী ধরা হয় শহর থেকেই বা আশপাশের জঙ্গল থেকে। এরকম নানা কারণে অনেক নতুন রোগের ভাইরাস, নতুন নতুন প্রাণীর দেহে ঢুকে আরো বিপজ্জনক চেহারা নিচ্ছে। এই সমস্যা মোকাবিলা করার কাজটা খুবই জটিল। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ - এগুলোর মাধ্যমে রোগ বিস্তার ঠেকানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য পরিবেশগত পরিবর্তন ঠেকাতে হবে, নতুন প্যাথোজেন চিহ্নিত করতে হবে, জানতে হবে কোন কোন প্রাণী তা বহন করছে।", "doc2": "Hong Kong-da dəmiryolu stansiyası 2002 - 2003 illərdə ortaya çıxan SARS epidemiyasının yayılması ilə ümumilikdə 349 nəfər ölüb. Yanvar ayının əvvəllərində Çində ortaya çıxan, sonradan daha 20 ölkəyə keçən koronavirus barədə xəbərlər dünyanı çalxalayır. Yeni yoluxucu xəstəliklər, adətən, təkrarlanmır. Ancaq vəhşi təbiətdən qaynaqlandığı təxmin edilən koronavirus əvvəlcə heyvanlarda yaranan yoluxucu xəstəliklərlə bağlı riskin xeyli artdığını göstərir. İqlim dəyişikliyi və qloballaşma heyvanlarla insanlar arasında əlaqəyə böyük miqyasda təsir etdiyi üçün ehtimal olunur ki, bu vəziyyət gələcəkdə daha çox problem yaradacaq. Xəstəlik heyvanlardan insanlara necə yoluxur? Heyvan xəstəliklərinin təkamül edərək insalara yoluxması halları son 50 ildə bir neçə dəfə baş verib. 1980-cı illərdə yaranmış QİÇS epidemiyası da əslində böyük meymunlardan yoluxmuşdu. 2004-2007-ci illərdə quş qripi, 2000-ci ildə isə donuz qripi yayılmışdı. 2010-cu illərdə SARS virusu ortaya çıxdı - o, yarasalardan müşk pişiklərinə, onlardan da insanlara keçmişdi. Ebola virusu isə insanlara birbaşa yarasalardan yoluxmuşdu. Çində qəfəslərdə saxlanan toyuqlar Əslində, heyvanlardan yoluxma halları əvvəlki dövrlərdə də olub. Son zamanların yoluxucu xəstəlikləri də daha çox heyvan mənşəlidir. Ətraf mühit amilləri bu prosesi daha da sürətləndirir. Bundan başqa, şəhərlərdə getdikcə daha çox insanın yaşaması və beynəlxalq səyahətlərin artması bu xəstəliklərin insanlar arasında daha sürətlə yayılmasına səbəb olur. Viruslar növdən-növə necə keçir? Heyvanlarda müxtəlif xəstəlik mikrobları, bakteriyaları və viruslar var. Onların uzun müddət həyatda qala bilmələri və nəsillərinin tükənməməsi özlərinə yeni \"yaşayış yeri\" tapması sayəsində mümkün olur. Yoluxmaya məruz qalmış orqanizmin immun sistemi mikrobları öldürməyə çalışır. Bu zaman iki canlı növü arasında təkamül savaşı başlayır, getdikcə proses sağ qalmaq mübarizəsinə, yəni rəqibini öldürmə cəhdinə çevrilir. Məsələn, 2003-cü ildəki SARS epidemiyasında bu virusa yoluxanların 10 faizi ölmüşdüsə, klassik qrip cəmi 1 faizin həyatına son qoymuşdu. Meymunlar zibil qutusunda Ətraf mühitin və iqlimin dəyişməsi heyvanların yaşayış sahələrini yox edir. Onlar yeni ərazilər tapmaq, həyat tərzlərini və yemlərini dəyişmək məcburiyyətində qalırlar. Əslində, son 50 ildə insanların da həyat tərzi dəyişib. 50 il əvvəl insanların 35 faizi şəhərdə yaşayırdısa, hazırda bu nisbət 55 faizə yüksəlib. Vəhşi təbiətdə yaşamalı olan heyvanlara artıq böyük şəhərlərdə də rast gəlmək olur. Məsələn, yenotlar, sincablar, tülkülər, quşlar, çaqqallar və meymunlar şəhər ərazilərindəki yaşıllıqlarda, parklarda və ya zibilliklərdə yaşayır, vəhşi təbiətlə müqayisədə burda daha asan yem tapırlar. Nəticə etibarilə yeni yaranana yoluxucu xəstəliklər şəhərləri bir \"əritmə qazanxanasına\" çevirir. Risk qrupları Özünə təzə \"ev\" tapan yeni yoluxucu xəstəliklər, adətən, daha təhlükəli olurlar. Ona görə də, bu, alimləri xüsusilə narahat edir. Bəzi əhali qrupları yoluxmalara daha əlçatandır. Məsələn, yoxsul işçilər, şəhərlərin daha kirli yerlərində yaşayanlar, təmizlik və tibb sahələrində çalışanlar xəstəliklərin qaynağına daha yaxındırlar və onlar arasında yoluxma riski daha böyükdür. Daha az qidalanan, daha kirli havayla nəfəs alan və daha kirli yerlərdə yaşayanların immun sistemi zəif olduğu üçün onlar xəstəliklə mübarizədə çətinlik çəkirlər. Bəzilərininsə tibbi xidmətlərdən yararlanmaq imkanı olmur. Böyük şəhərlərdə insanlar sıx yaşadıqları üçün virusların insandan insana keçməsi çox sürətlə baş verir. Bir-birinə yaxın məsafədə eyni havayla nəfəs almaq və eyni səthlərə toxunmaq yoluxmanı sürətləndirir. Bəzi xalqlar hətta böyük şəhərlərdə də vəhşi təbiətdən qida təminatı kimi istifadə edirlər. Məsələn, şəhərdə ələ keçirilən və ya ovlanan vəhşi heyvanları kəsib yeyirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40519878", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40528380", "doc1": "ওয়ারসতে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেতে যাচ্ছেন মি: ট্রাম্প। তবে জার্মানিতে যাবার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সফরে গেছেন । রাজধানী ওয়ারস'তে আজ এক ভাষণও দেবেন মি: ট্রাম্প। পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকারের সাথে দেখা করা ট্রাম্পের জন্য কেন বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে মার্কিন কূটনীতিক ও বিশ্লেষকেরা নানা মতামতও তুলে ধরছেন। পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ল এন্ড জাস্টিস পার্টির প্রধান জ্যারোস্লো ক্যাকজিয়ানস্কি বলছেন, ইউরোপের অনেক দেশ বিশেষ করে ব্রিটেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সফরকে সহজভাবে দেখছেন না। কেন পোল্যান্ডেই প্রথম গেলেন ট্রাম্প? ১. উষ্ণ অভ্যর্থনা পোল্যান্ডে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয়া হবে সেটা আগে থেকেই বুঝা যাচ্ছিল। মাসখানেক আগে মি: ট্রাম্পের এই সফরসূচি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। তখন থেকেইপোলান্ডের ক্ষমতাসীন ল' অ্যান্ড জাস্টিস পার্টিতে সাজ সাজ রব উঠেছে। অন্যদিকে হ্যামবুর্গের কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে জি-২০ সম্মেলনের ভবনের বাইরে অন্তত এক লাখ বিক্ষোভকারী জমা হবে। খুব তাড়াতাড়ি ব্রিটেন সফরে যাবেন ট্রাম্প এবং সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু পোল্যান্ডে হোয়াইট হাউজ খুব স্বাভাবিকভাবেই নি:শ্বাস নিতে পারবে। ১৯৪৪ সালে নাৎসি দখলদারদের বিরুদ্ধে ওয়ারশ বিদ্রোহে প্রায় ২ লাখ পোলিশ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছিল। ক্রাসিনস্কি স্কয়ারে তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজই বক্তব্য রাখবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এ কারণে সাজানো হয়েছে ওই এলাকা। স্থানীয় একটি পত্রিকায় বলা হয়েছেবাসে করে সংসদের সদস্যদের ক্রাসিনস্কি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে, কারণ পোল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ চায় মি: ট্রাম্পের ভাষণের সময় যেন আশেপাশে যেন হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকে ও পরিবেশটাও যেন হয় বন্ধুসুলভ। তবে বাস নিয়ে এমন ভিড় করার বিষয় নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। \"বিরাট কোনো ভুল না করে থাকলে প্রত্যেক আমেরিকান প্রেসিডেন্টই অনেক জনপ্রিয় ও এখানে আসলে তারা উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবে যা খুব স্বাভাবিক\"-বলছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের অধ্যাপক পোলিশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেক্স স্কেজেরবিয়াক। ১৯৪৪ সালে ওয়ারস বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজ ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২. একই পথের পথিক বিশ্লেষকেরা অনেক ক্ষেত্রে পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই পথের পথিক হিসেবে মনে করছেন। দুদেশের প্রধানই প্রথমে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টা দেখে ও সে বিষয়েই সরাসরি কথা বলে। জলবায়ু পরিবর্তন বা অভিবাসন দুই ক্ষেত্রেই এখন পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অবস্থান এক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ থাকা সত্ত্বেও অভিবাসন ঠেকাতে মরিয়া পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকার। কিছুদিন আগে পোলিশ প্রেসিডেন্ট মি: ক্যাজনিয়াস্কি বলেছিলেন যেসব অভিবাসীরা ইউরোপে যাচ্ছে তারা বিপজ্জনক রোগ বহন করছে। অভিবাসন নিয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়েও মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন ট্রাম্পের এই সফর দুই দেশের জন্যই লাভজনক। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের মাধ্যমে পোল্যান্ডের মর্যাদা বাড়ছে। যদিও সমালোচকেরা বলছেন ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে ইউরোপ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে পোল্যান্ড সরকার। ইউরোপের একটি বড় দেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প যে দেশের সরকার তারই মতো মতাদর্শ শেয়ার করে। ২০০১ সালে পোল্যান্ড সফরকালে বিদেশ নীতি নিয়ে এক ভাষণ দেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ৩. সামরিক খাতে খরচ করো, তুমিও পাবে প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি নিজেদের জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করতে রাজি হয়েছে পোলান্ড। মে মাসের শেষে নেটোর বকে বৈঠেকে মি: ট্রাম্প নেটোর সামরিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথাই বলেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে আজকের ভাষণে তিনি পোল্যান্ডের প্রশংসা করবেন। পোল্যান্ডে বর্তমানে ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। ৪. ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তিরস্কার? পোল্যান্ড সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'থ্রি-সি সামিট' তিনটি সমুদ্রের সম্মেলনের কথা বলবেন, বাল্টিক, আদ্রিয়াটিক ও কৃষ্ণ সাগরের মধ্যেকার বারোটি জাতিকে একত্রিত করবে পোলিশ ও ক্রোয়েশিয়ান উদ্যোগের একটি অংশ এটি। মি: ট্রাম্প এই উদ্যোগকে প্রশংসার চোখেই দেখছেন যেখানে ইউরোপিয় অনেক কূটনীতিক এই পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক স্কেজেরবিয়াক বলছেন, \"যুক্তরাষ্ট্র আবারো দেখাতে চাইছে যে ইউরোপিয়ান এলিটদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠ হতে চায় না এবং যুক্তরাষ্ট্র এতে খুশি\"। ৫. গ্যাস বাণিজ্য গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল পোল্যান্ড। পোলিশ সরকার চেষ্টা করছে এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে এবং গত মাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন ন্যাচারাল গ্যাসের একটি সরবরাহ দেশটিতে এসেছে। ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও এটা একটা বিজয়। পোল্যান্ড এবং অন্যান্য পূর্ব-ইউরোপিয় দেশগুলোতে শক্তি বা গ্যাসের যে উৎস রয়েছে তাতে পরিবর্তন বা বৈচিত্যা আনার কৌশলও আছে তাদের। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ চায় তার দেশের গ্যাস বিশ্বজুড়ে বিক্রি করতে। 'থ্রি-সি সামিট' বা ত্রি-সমুদ্র সম্মেলনে এই বিষয়টিও তুলে ধরবেন মি: ট্রাম্প। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার যে রেস্টুরেন্টে বিদেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ 'অনেক মানুষকে গোপনে আটকে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী' প্রেমে আর যৌনতায় আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানী তরুণরা ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়?", "doc2": "Üzərində ABŞBŞ prezidenti Donald Trump və Rusiya prezidenti Vladimir Putin əks olunmuş kofta Hər iki ölkə lideri Suriya və Ukrayna böhranlarına, eləcə də Rusiyanın 2016-cı il ABŞ prezident seçkilərinə iddia edilən müdaxiləsinə görə zəifləmiş əlaqələrini düzəltmək istədiklərini deyiblər. G20 zirvə görüşüdən əvvəl etirazçılarla toqquşma zamanı 76 polis zabiti xəsarət alıb. Cümə günü etiraz nümayişlərinin davam edəcəyi gözlənilir. 12 min nəfərin iştirak etdiyi cümə axşamı keçirilən və gecə davam edən \"Cəhənnəmə xoş gəlmisiniz\" etiraz nümayişində toqquşma zamanı polis butulka, daş və fişəng atan etirazçılara qarşı su şırnaqlarından və bibər spreyindən atəş açıb. Tibb işçiləri bir neçə nəfəri müalicə edib, azı bir nəfərin ciddi xəsarət aldığı deyilir. Minlərlə insan \"Cəhənnəmə xoş gəlmisiniz\" etiraz nümayişinə qatılıb Cümə günü daha kütləvi nümayişlər gözlənilir. Etiraz nümayişinə 100 min nəfərin qatılacağı ehtimal edilir. Trump və Putinin cümə günü günorta saatlarında görüşəcəyi bildirilir. Rusiya mətbuatı əvvəlcə görüşün bir saat davam edəcəyini xəbər versə də, daha sonra müddətin təxminən 30 dəqiqə ola biləcəyini yazıb. Prezidentlərin əsasən Suriya və Ukrayna məsələlərini müzakirə edəcəkləri gözlənilir. Cümə axşamı cənab Trump Polşanın paytaxtı Varşavada çıxışı zamanı Rusiyadan Ukrayna və digər ölkələrdə \"sabitliyi pozmamağı\" tələb edib. O deyib ki, Moskva, həmçinin Suriya və İrandakı kimi \"düşmən rejimlərə\" dəstək verməyə son qoymalı və \"məsul millətlər icmasına qoşulmalıdır\". Prezident Trump Rusiyanı \" sivilizasiyanın müdafiəsi uğrunda birgə düşmənlərə qarşı mübarizə etməyə\" çağırıb. Kreml onun iradlarını rədd edib. Cümə günü daha kütləvi nümayişlər gözlənilir Rusiya 2014-cü ildə Ukraynanın cənubundakı Krım yarımadasını ilhaq etməkdə və Ukraynanın şərqindəki separatçılara qoşun və silah göndərməkdə ittiham olunur. Moskva isə bu ittihamları təkzib edir, amma etiraf edir ki, Rusiya \"könüllüləri\" qiyamçılarla birgə mübarizə aparır. Suriyada isə Vaşinqton bəzi silahlı müxalifət qruplarını dəstəkləyir, Moskva isə prezident Bəşər Əsədin əsas müttəfiqidir. Kreml ümumi dil tapmaq üçün potensialın olduğunu vurğulasa da, cənab Trump-ın Varşava çıxışında Rusiyaya yönəlmiş sözlərinin seçimi onu göstərir ki, o cənab Putini siyasi təhlükə kimi tanıyır, BBC-nin əməkdaşı James Robbins deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47685393", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46457061", "doc1": "বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শো'তে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন টেরিজা মে। এতে মনে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-র সময় শেষ হয়ে এসেছে। তার উপস্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি এর আগে দু'বার পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে হেরে গেছে, এবং তিনি তৃতীয়বারের মতো এটিকে পার্লামেন্ট এনে আবার পাস করানোর চেষ্টা করবেন - এ জল্পনাকে কেন্দ্র করে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়ছে। এমন কি তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্যরাও এখন তার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আপত্তি গোপন করতে পারছেন না। অবশ্য টেরেজা মে যদি এই বিরোধিতাকে আমলে না নেন এবং তার পদ আঁকড়ে থাকেন তাহলে এই অসন্তুষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা কি করবেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু এমপি বলছেন, তারা হয়তো অনিচ্ছাসত্ত্বেও টেরেজা মে'র ব্রেক্সিট চুক্তিটি তৃতীয়বার ভোটে উঠলে তাকে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু তার শর্ত হবে এই যে, ইউ-র সাথে আগামী আলোচনায় তিনি আর ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। লন্ডনে ব্রেক্সিট-বিরোধী শোভাযাত্রা। আরো পড়তে পারেন: লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি কতটা সম্ভব? সিলেটে বাসের চাকায় ছাত্র পিষ্ট হবার আগের মুহুর্ত গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ সংবাদপত্রগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মিসেস মে'র ওপর তীব্র চাপ তৈরি হচ্ছে এবং মন্ত্রিসভা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। অবশ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলছেন, মিসেস মে'কে সরিয়ে দেয়াটা ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা ভাঙতে পারবে না। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এক গভীর বিভেদ তৈরি হয়েছে, এবং কিভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তাই টেরেজা মে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েও দেন, তা হলেও যুক্তরাজ্যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না।", "doc2": "Dekabrın 11-nə təyin olunmuş \"mühüm səsvermə\" ərəfəsində Britaniya parlamentində 5 gün çəkən parlament debatları marafonu başlayıb. Bu planın parlamentdə səsverməyə çıxarılmasına bir həftədən də az vaxt qalıb - parlament üzvləri Avropa İttifaqı ilə uzun sürən danışıqlar nəticəsində hazırlanmış bu plana ya səs verib təsdiqləməli, ya da ki, onu rədd etməlidirlər. Dekabrın 11-nə təyin olunmuş \"mühüm səsvermə\" ərəfəsində Britaniya parlamentində 5 gün çəkən parlament debatları marafonu başlayıb. Çərşənbə axşamı günü keçirilmiş debatlar höküməti məğlub və əzilmiş duruma salıb. Çərşənbə günü keçirilmiş debatların fokusu isə təhlükəsizlik və immiqrasiya məsələləri olub. Debatların gedişində getdikcə daha çox yer alan ümumi rəyə görə, parlament üzvlərinin Brexit planını rədd edəcəkləri ehtimalı artmaqdadır. Hökümət hansı məsələlərdə məğlub edilib? BBC-nin siyasi redaktoru Laura Kuenssberg-in qeyd etdiyi kimi, çərşənbə axşamı Baş nazir Theresa May üç dəfə məğlubiyyətə uğrayıb və bu, parlamentdə təmsil olunan bütün partiyaların nümayəndələrinin iştirakı ilə baş verib. Laura Kuenssberg qeyd edir ki, hökümət 1970-ci illərdən bəri hələ belə məğlubiyyətə uğramamışdı. Theresa May höküməti üsyançı deputatlara qalib gəlməyə səy göstərir. Belə ki, hökümət Brexit-lə bağlı Baş prokurorun verdiyi hüquq məsləhətini tam həcmdə dərc etməyə məcbur olub. Həmin məsləhətin yalnız xülasə hissəsinin dərc olunmasını isə deputatlar Parlamentə hörmətsizlik kimi qiymətləndiriblər. Theresa May-in bu məsələyə yalnız dar çərçivəli parlament komitəsində baxılmasına nail olmaq məqsədilə göstərdiyi cəhdlər də uğursuzluqla nəticələnib. Buna qədər, hökümət prokurorun icmalını tam həcmdə dərc olunmasına müqavimət göstərirdi, lakin hökümətin bu hərəkəti deputatların qəzəbinə səbəb olub - onlar deyiblər ki, nəyə səs verəcəklərini anlamaq istəyirlər. Xüsusilə, Şimali İrlandiya ilə bağlı sərhəd problemilə bağlı. Daha bir vacib məqam ondan ibarətdir ki, İcmalar Palatası, Theresa May-in layihəsi rədd olunacağı təqdirdə, hadisələrin necə inkişaf edəcəyini müəyyən etmək hüququnu parlamentə verib. Brexit sövdələşməsində nə deyilir? Britaniya-Aİ razılaşmasında qeyd olunan əsas məsələlər aşağdakılardır: Britaniya ilə Aİ arasında ticarət müqaviləsinin razılaşdırılması və bizneslərə yeni rejimə uyğunlaşmaq üçün 2020-ci ilin dekabrın 31-dək keçid dövrü müəyyən edilib. Daha bir sənəd isə gələcək Britaniya-Aİ münasibətlərinin çərçivəsini müəyyən edib. Sövdələşməni Britaniya Parlamenti bəyənəcəkmi? İndi bunun ehtimalı getdikcə azalır. Theresa May-in Mühafizəkarlar partiyasının ümumi yer sayı 650 olan parlamentdə 315 parlament üzvü var, hökümət həm də Şimali İrlandiya İttifaqçı Partiyasının da (DUP) parlamentdəki 10 təmsilçisinin səslərinə arxalanır. Lakin müxalifətin bütövlükdə sövdələşmə əleyhinə səs verəcəyi gözlənilir - və hətta Theresa May-in partiyası daxilində də çoxlarının üsyançılara qoşulacağı ehtimal olunur. \"Bu, Brexit deyil. Bu, hökümət siyasətinin iflasıdır. Bu, rədd edilməlidir\", - Brexit tərəfdarı olan Mühafizəkarlardan olan deputat Jacob Rees-Mogg deyib. Britaniya parlamenti Theresa May-in layihəsini dəstəkləyəcək, ya rədd edəcək? O deyib ki, Mühafizəkarlardan olan 100-dək deputat ehtimal ki, sövdələşmənin əleyhinə səs verə bilər. Keçmiş Təhsil naziri Justine Greening isə indiki durum barədə bunları söyləyib: \"Parlament çıxılmaz vəziyyətə düşüb. Həqiqət budur.\" Parlament sövdələşməni rədd etsə, nə olacaq? Hökümət parlamentin təsdiqindən keçməmiş sövdələşməni qanun qüvvəsinə sala bilməz. Bu isə ona gətirib çıxaracaq ki, 2019-cu il martın 29-da Britaniya Aİ-ni heç bir sövdələşmə, müqavilə-filan olmadan tərk edəcək. Lakin həmin vaxta qədərki hadisələr də maraqlıdır. Layihə parlamentdən keçməsə, hökümət, maliyyə bazarlarının buna mənfi reaksiyasına istinad edərək sözügedən layihəni yenidən parlamentin baxılmasına təqdim edə bilər. Bu arada isə ana müxalifət olan Leyboristlər Theresa May-in istefası və yeni parlament seçkilərinin keçirilməsi üçün hərəkətə keçə bilər. Theresa May Aİ ilə danışıqları davam etdirmək üçün yenidən Brüsselə qayıda da bilər Mühafizəkar deputatlar Theresa May-in partiyaya rəhbərlik etməsinin artıq mümkünsüz olduğu barədə qərar qəbul edə bilərlər. Theresa May Aİ ilə danışıqları davam etdirmək üçün yenidən Brüsselə də qayıda bilər - baxmayaraq ki, Aİ liderləri bunun artıq mümkünsüz olduğunu bildiriblər. O, eləcə də 29 mart 2019 ayrılma tarixini uzatmağı xahiş edə bilər - amma bunun üçün Aİ-nin bütün 27 üzvünün hər birinin razılığını almaq lazım gələcək. Nəhayət, daha bir Brexit referendumu keçirilə bilər. Parlament, 11 dekabr səsverməsi hökümətin məğlubiyyətilə bitəcəyi halda, bundan sonra baş verə biləcək hadisələrə nəzarət etmək səlahiyyətini tələb edə bilər. Beləliklə, Theresa May həmin səsverməni uduzsa, Brexit-in gələcəyi artıq ondan asılı olmaya bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46132972", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39151882", "doc1": "মি. সেশনস ছিলেন প্রথম সিনেটর যিনি ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিলেন সাবেক এই সিনেটরের সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। মি. ট্রাম্প টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, মি. সেশনস অস্থায়ীভাবে সরিয়ে তার স্থানে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হবে। বুধবার ঐ টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন \"আমারা অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস কে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি একই সাথে তাঁর ভাল চায়\"। তবে এই বরখাস্তের ঘটনা যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই ঘটেছে মোটেও তেমনটি নয়। কারণ এর পিছনে রয়েছে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বিচার বিভাগের তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন। আরও পড়তে পারেন: রাশিয়া পরমাণু চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি গর্বাচভের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য নিয়ে ট্রাম্পের প্রশ্ন 'মেয়েদের দেহে স্পর্শ দোষের কিছু না, এটা ট্রাম্প বলেছেন' তারিখবিহীন একটি পদত্যাগ পত্রে মি. সেশনস যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি সেটা স্পষ্ট ধরা পরেছে। আলাবামার সাবেক এই সিনেটর আগে ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি ঐ চিঠিতে লিখেছিলেন \"প্রিয় মি প্রেসিডেন্ট আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগ পত্র জমা দিচ্ছি\"। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন \"সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখেছি\"। মি. সেশনসের সাথে বিবাদের শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে থেকে দল ত্যাগ করাদের মধ্যে সর্বশেষ নাম যোগ হল সেশনসের। তখনই মি সেশনস রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল সেখান থেকে সরে আসেন। এবং এই দায়িত্ব তার অধীনস্ত রড রোজেনস্টেইনকে দেন। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্প মি. সেশনসের বিরুদ্ধে নানা ধরণের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকার ট্রাম্প বলেন \"তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যাবেন এই কথা আমাকে আগে বললে আমি তাকে এই দায়িত্ব তাকে দিতাম না। আমি অন্য কাওকে এই কাজের জন্য নিতাম\"। মি. সেশনস তদন্তভার থেকে সরে যাওয়ার পর বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের চলমান তদন্ত-প্রক্রিয়া নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। মি. মুলার প্রতিনিয়ত ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টসিয়াল ক্যাম্পেইন এবং মস্কোর মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা এমন তথ্য-প্রমান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরেই হয়ত জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আর সেটাই এখন সত্য হল।", "doc2": "Cənab Sessions vəzifəyə təsdiq edilərkən Rusiya rəsmilərilə təmasda olduğunu inkar etdiyi üçün kəskin tənqidlərlə üzləşir. Donald Trump deyib ki, baş prokuror bilərəkdən yanlış məlumat vermək niyyətini güdməyib, hərçənd ki, cavabını \"daha dəqiq verə bilərdi\". ABŞ prezidenti demokratları \"əcinnə ovu\"nda ittiham edib. Demokratların konqresdəki lideri Nancy Pelosi baş prokuroru istefaya çıxmağa səsləyib. Baş prokuror Jeff Sessions prezident kampaniyası gedişatında iki dəfə Rusiya səfiri ilə görüşüb. Cənab Sessions Rusiyanın ABŞ seçkilərinə müdaxiləsi barədə iddiaların araşdırılmasına nəzarətdən kənar duracağını bildirib. Donald Trump deyib ki, onun opponentləri \"seçkilərdə məğlub olub, və indi reallıqla əlaqəni itiriblər\". Prezident seçkiləri vaxtı Trump komandasının Rusiya ilə əlaqələri barədə ittihamlardan sonra Donald Trumpın milli təhlükəsizlik üzrə müşaviri Michael Flynn istefa verib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/51993799", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52467528", "doc1": "চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন অনেকে করোনাভাইরাস শুধু জীবন ও স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলছে না, এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। যার ফলে ব্যবসা বাণিজ্য নিম্নমুখী এবং কর্মীরা বেশ বাজেভাবে আতঙ্কে ভুগছে। যুক্তরাজ্যে জীবন এখন স্থবির, ফার্মগুলো ইতোমধ্যে আশঙ্কা জানিয়েছে হাজারো মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে। বাবা-মাকে সাথে নিয়ে যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল থেকে লিডসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন হলি ইয়েরি। ২৮ বছর বয়সী এই নারীর স্বপ্নের চাকরি ছিল রেস্তোরা ও বারের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করা। তার চাকরি চলে গেছে এবং তিনি বলছেন, এই ব্যাপারে তার কোনো রাগ নেই, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না। ভাইরাসের কারণে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বাতিল করার যে পরার্মশ ব্রিটিশ সরকার দিয়েছে তার পরপরই প্রচুর অর্ডার ক্যানসেল হতে থাকে একে একে। তখন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ অর্ধেকের মতো কর্মী ছাঁটাই করে। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস তবে ইয়েরি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকও বটে। তিনি মনে করছেন বেশ কয়েকমাসে রেস্তোরা, ভ্রমণ বা এই সংক্রান্ত যেসব চাকরি আছে সেগুলো টিকবে না। যুক্তরাজ্যজুড়ে এমন অনেক উদাহরণ আছেন যারা জানেন না পরবর্তী চার থেকে পাঁচ মাস কীভাবে চলবে। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনে বাস করা টম ডানোসিয়াস নামে এক ব্যক্তি চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, তিনি মাসে ৮০০ পাউন্ড ভাড়া ও নানাবিধ বিল দেন। তিনি বলেন, \"আমার কিছু জমা টাকা আছে, কিন্তু সর্বোচ্চ দুই মাস চলতে পারবো সে টাকা দিয়ে''। যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ অব্যাহত আছে ব্যবসা বিষয়ক উপদেষ্টা বব ডোনেলান আরো ছয় মাসের জন্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন। \"মার্চের শেষেই আমার চুক্তি শেষ হয়ে যাবে, এরই মধ্যে করোনাভাইরাস এলো এবং কোম্পানিও কর্মী ছাটাই করছে। অতএব আমার এই চুক্তি সামনে এগোনোর কোনো সম্ভাবনা নেই।\" ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদিও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, \"আপনারা কর্মীদের পাশে থাকুন।\" কিন্তু বাস্তবতা কঠিন, প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্যাকেজও করেছেন চ্যান্সেলর রিশি সুনাক। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সিলেটে যুক্তরাজ্যফেরত নারীর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ বাংলাদেশের পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী ২০দিনের জন্য লকডাউন চাকরি চলে যাওয়ায় বাবা-মাকে সাথে নিয়ে যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল থেকে লিডসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন হলি ইয়েরি। এই প্যাকেজের লক্ষ্য হবে মানুষের চাকরি বাঁচানো, পাঁচ ভাগের চার ভাগ বেতনও দেবে সরকার, মাসে ২৫০০ পাউন্ড বেতন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে এই প্যাকেজে। বাংলাদেশের একজন গার্মেন্টস কর্মীর সাথে কথা হচ্ছিল, যদিও এখনো তিনি কাজ করছেন তবে তিনি শঙ্কায় আছেন যেকোনো সময় চাকরি চলে যেতে পারে তার। \"গত বছর এই সময় ছিল ৩০০ কোটি টাকার অর্ডার ছিল, এই বছর একই সময়ে একশো কোটি টাকায় নেমে আসে।\" তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় তিনি কাজ করছেন আসেপাশের পোশাক কারখানায় চাকরি যাওয়ার খবর তিনি পাননি। এখনো বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর দিকে এবং খুব বড় সংখ্যায় না। ব্যক্তিগত কারণে তিনি নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।", "doc2": "Beynəlxalq Əmək Təşkilatına görə, ən pis vəziyyətdə daimi iş müqaviləsi olmayanlardır - onların bir çoxu pərakəndə satış, istehsalat və qida sənayesi sahəsində işləyir. Artıq qeyri-rəsmi şəraitdə işləyən iki milyarda yaxın insan əmək haqqının bir hissəsini itirib - bu, adətən 60 faizdir. Bu itki pandemiyanın həmin insanların regionuna keçməsinin elə birinci ayındaca baş verdi. \"Milyonlarla işçi üçün gəlirinin olmaması yeməyin, təhlükəsizliyin və gələcəyin olmaması deməkdir. Bütün dünya üzrə milyonlarla müəssisə son nəfəsini verməkdədir\", - Beynəlxalq Əmək Təşkilaıtnın Baş direktoru Guy Ryder deyib. \"Onların pul yığmaq və ya kredit əldə etmək imkanı yoxdur... Əgər biz onlara indi kömək etməsək, onlar sadəcə məhv olacaqlar\", - o söyləyib. Avropa İttifaqında hərəkət Avropa İttifaqının rəhbərliyi insanların birlik ərazisi çərçivəsində və oradan kənarda hərəkətlərini necə bərpa etmək barədə qərar verir. Avropa iqtisadiyyatının 10 faizini turizm təşkil edir. Avropa İttifaqının nazirləri bu sahənin dəstəklənməsi üçün iştirakçı ölkələr arasında \"dəhliz\" təşkil edilməsini təklif edir. Fransa may ayında səyahət məhdudiyyətini \"yumşaltmağı\" planlayır. Ondan sonra, insanlar tibbi maska taxdıqları halda 100 km-dək məsafəyə səhayət edə biləcəklər. Bununla əlaqədar Parisdə dəmiryolu stansiyalarında yarım milyon tibbi maska paylanılıb. Parisdə könüllülər tibbi maska paylayır Tibbi maskalar taxmağın tövsiyə olunduğu Almaniyada digər ölkələrə səyahət edilməsinin arzuolunmaz olması ilə bağlı xəbərdarlıq iyunun 14-dək uzadılıb. Avropa İttifaqının bir çox üzvü kimi Almaniya da bəzi quru sərhədlərini bağlayıb və 240 minə yaxın vətəndaşını digər ölkələrdən təxliyə edib. Almaniya iki ölkə arasında hərəkət etməyə məcbur olan polşalı işçilərə qarşı məhdudiyyəti yumşaldır, lakin Polşa təhlükəsizlik tədbirlərini ləğv etməyə tələsmir. Ölkəyə gələn hər kəs iki həftə karantində qalmağa məcburdur. Bu, hətta bəzi sərhəd ölkələrində etirazlara səbəb olub. Polşa elan edib ki, mayın 4-dən otelləri, ticarət mərkəzlərini açacaq, lakin sərhədlərin açılması barədə hələ bir şey deyilməyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52463068", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52495403", "doc1": "দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কিম জং-আনকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। কিম ইল-সাং ১৯৪৮ সালে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকে এই পরিবারেরই কোন না কোন পুরুষ সদস্য দেশটির দায়িত্বে আছেন। এই পরিবারকে ঘিরে যেসব জনশ্রুতি, তা উত্তর কোরিয়ার সমাজের সর্বস্তরে গভীরভাবে প্রোথিত। উত্তর কোরিয়ার এই পরিবারটি কত মহান সে সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা আর মগজ ধোলাই শুরু হয় শিশুরা পড়তে শুরু করতে পারার আগেই। স্কুলে যাওয়া শুরু করার আগেই শিশুরা গান গাইতে শুরু করে: “আমি আমাদের নেতা কিম জং-আনকে দেখতে চাই।” উত্তর কোরিয়া ক্ষমতার শীর্ষে এরকম কোন প্রতীকি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া দেশটিকে কি কল্পনা করা সম্ভব? দেশটির ক্ষমতাবান অভিজাত শ্রেণি কীভাবে নিজেদেরকে সংগঠিত রাখে এবং পুরো সমাজকে পরিচালিত করে? এর সহজ উত্তর হচ্ছে: আমরা জানি না। আরো মজা করে বলতে গেলে, তারাও আসলে জানে না। কারণ তাদের এই কাজটা কখনোই করতে হয়নি। উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বে সবসময়ই ছিল একজন কিম.... কিম জং-আন যখন ক্ষমতা গ্রহণের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, তখন তার শাসনকে বৈধতা দেয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ায় ‘পেকটু ব্লাডলাইন’ বলে একটা কথা চালু হয়। ‘পেকটু পর্বতমালাকে’ ঘিরে উত্তর কোরিয়ার অনেক পৌরাণিক গল্পগাঁথা চালু করা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এই পর্বতমালা থেকে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়েছিলেন। কিম জং-ইলের জন্ম নাকি সেখানে। কিম জং-আন এখনো সেখানে যান যখন তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটির গুরুত্ব মানুষের কাছে তুলে ধরতে চান। উত্তর কোরিয়া নামের রাষ্ট্রটি পরিচালিত হয় যে রাজনৈতিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে, তার কেন্দ্রে সব সময় ছিল কোন না কোন একজন কিম। কিন্তু এরকম একজন উত্তরাধিকারীর অনুপস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার অবস্থা কেমন হবে? ধারণা করা হয় কিম জং-আনের তিন সন্তান, কিন্তু তাদের বয়স একেবারেই কম। সবচেয়ে বড়জনের বয়স দশ, আর একেবারে ছোটটির বয়স তিন বছর। কিম জং-আন নিজে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। এরকম সম্ভাবনা হয়তো আছে যে এক ধরণের যৌথ নেতৃত্ব তার শূণ্যতা পূরণ করতে পারে, যেমনটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। এই যৌথ নেতৃত্ব নিজেদের বৈধতা অর্জনের জন্য কমিউনিস্ট বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতাদের আদর্শ এবং নীতির দিকেই বেশি করে ঝুঁকবে। উত্তর কোরিয়ার ঘটনাবলী যারা পর্যবেক্ষণ করেন, তারা হয়তো বলতে পারেন দেশটিতে কারা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অধিষ্ঠিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো সম্পর্কে নানা সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্যও হয়তো জানতে পারেন। কিন্তু তাদের পক্ষে আসলে বলা সম্ভব নয় সেখানে নেতৃত্ব দখলের জন্য কী ধরনের উপদল তৈরি হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কে বেশি ক্ষমতাশালী। অনেক সময় দেখা যায় কোন প্রতিষ্ঠানের যিনি আলংকারিক প্রধান, তার তুলনায় উপ প্রধান বা উপ পরিচালক হয়তো বেশি ক্ষমতাশালী। সুতরাং উত্তর কোরিয়ায় কোন কিছু সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা আসলেই খুবই কঠিন কাজ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন কোথায়? \"আমার নামও কিম জং আন\" - দক্ষিণ কোরিয়ার তিন 'কিম' উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এবং তার ছেল কিম জং-ইল অবশিষ্ট তিন ‘কিম‌‍’ যদি কিম জং-আন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে যান তখন তার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনজন ‘কিম’ দৃশ্যপটে আসতে পারেন। তবে পারিবারিক শাসন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের তিনজনেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। প্রথম আসে কিম ইয়ো-জং এর কথা। তিনি হচ্ছেন কিম জং-আনের সবচেয়ে ছোট বোন। বলা হয়ে থাকে তিনি তার বাবার খুবই প্রিয় পাত্রী ছিলেন। তার ডেঁপোমি আর রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহের কারণে খুবই অল্প বয়স থেকেই তিনি তার বাবা কিম জং-ইলের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন। কিম ইয়ো-জং বেশ মার্জিত, নম্র এবং সুশৃঙ্খল। তিনি যে তার ভাই কিম জং-আনের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ, সেটা নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিম জং-আনের শীর্ষ বৈঠক হয়, তখন চুক্তি সই করার জন্য পাশ থেকে কলম এগিয়ে দিতে দেখা গেছে তাকে। হ্যানয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের সময়ও তার উপস্থিতি পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি এড়ায়নি। তার ভাই যখন রাষ্ট্রনায়কোচিত ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন, তখন দেখা গেল পেছনে উঁকি দিচ্ছেন ছোট বোন কিম ইয়ো-জং। কিন্তু হ্যানয়ের এই শীর্ষ বৈঠকের ব্যর্থতার পর সাময়িক পদাবনতি থেকে নাকি তারও রেহাই মেলেনি। তবে এই খবরটি আসলে কখনোই নিশ্চিত করা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা, স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের সদস্য নন তিনি। তবে কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর একজন বিকল্প সদস্য এবং প্রোপাগান্ডা এন্ড এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের (পিএডি) ভাইস ডিরেক্টর। উত্তর কোরিয়ার এই পিএডি খুবই ক্ষমতাধর সংস্থা । এরা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের আদর্শগত আনুগত্য নিশ্চিত করে। কিন্তু কিম ইয়ো-জং তো একজন নারী। উত্তর কোরিয়ার মতো সাংঘাতিক রকমের পুরুষতান্ত্রিক একটি দেশে তিনি ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠিত হবেন এটা কল্পনা করা বেশ কঠিন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রযন্ত্রে চরম পুরুষ প্রাধান্য। সেখানে নারী বা পুরুষ কার কী ভূমিকা, কার কাছে কী প্রত্যাশা- তা তাদের লিঙ্গ অনুযায়ী নির্ধারিত। এরকম একটি রক্ষণশীল সমাজে তিনি রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতা হবেন,সামরিক বাহিনীকে পরিচালনা করবেন, তা নারীর কাছে প্রত্যাশিত দায়িত্ব-কর্তব্যের সঙ্গে যায় না। দ্বিতীয় যে কিমের কথা শোনা যায় তার পুরো নাম কিম জং-চাওল। তিনি কিম জং-আনের বড় ভাই। তাকে কখনোই রাজনীতি বা রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে আগ্রহী বলে মনে হয়নি। (শোনা যায় তাঁর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে সঙ্গীতশিল্পী এরিক ক্ল্যাপটনের ব্যাপারে)। তিনি বড়জোর কিম পরিবারের একটি প্রতীকি সংযোগের কাজ করতে পারেন। হয়তো তাকে কোন একটি ফাউন্ডেশনের প্রধান করা হতে পারে এবং মাঝে মধ্যে হয়তো তাকে দিয়ে কোন একটা বক্তৃতা পড়ে শোনানো হতে পারে। তৃতীয় যার কথা শোনা যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন কিম পিয়ং-ইল। তিনি কিম জং-ইলের একজন সৎ ভাই। কিম ইল-সাং মারা যাওয়ার পর কিম পিয়ং-ইল হবেন উত্তরাধিকারী, এটা‌ই ছিল তার মায়ের ইচ্ছে। কিন্তু তার এই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। কিম জং-ইল প্রভাবশালী হয়ে ওঠার পর তার সৎ মাকে কার্যত ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে দেন। কিম পিয়ং-ইলকে ১৯৭৯ সালে ইউরোপে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তিনি বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং মাত্র গত বছর তিনি উত্তর কোরিয়ায় ফিরে এসেছেন। এ কারণে পিয়ংইয়ংয়ের রাজনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মতো নেটওয়ার্ক তার আছে বলে মনে করা হয়। এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি কে কিং জং-আনের শাসনামলে উত্তর কোরিয়ায় আরো অনেকে আছেন যারা বেশ ক্ষমতাবান এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা বলা বেশ কঠিন তাদের মধ্যে কে বা কারা সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন এবং কারা কারা ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হবেন। গুরুত্বপূর্ণ একজন হচ্ছেন চু রায়ং-হে। কিম জং-আনের সঙ্গে তার সম্পর্কে অনেক উত্থান পতন আছে। কিন্তু অনেক ঝড় ঝাপটা সামলে তিনি এখন পলিটব্যুরোর প্রেসিডিয়ামের প্রেসিডেন্ট এবং একই সঙ্গে স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। গত বছর তিনি বিশ বছরের মধ্যে তিনি প্রথম এরকম দায়িত্ব পেয়েছেন তার পূর্বসুরী কিম ইয়ং-নামকে সরিয়ে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনিই তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিম ইয়ো-জং কি হতে পারেন উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতার শীর্ষে প্রথম নারী? চু রায়ং-হে সামরিক বাহিনির অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির অর্গানাইজেশন এন্ড গাইডেন্স ডিপার্টমেন্টে (ওজিডি) কাজ করেছেন। এদের কাজ হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শাসক গোষ্ঠীর পক্ষে আনুগত্য বজায় রাখা। এটি খুবই শক্তিশালী একটি সংগঠন: উত্তর কোরিয়ায় সবাই যেন রাষ্ট্রীয় আদর্শ মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করা এদের কাজ। চু রায়ং-হে সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি। স্পাই মাস্টার বনাম উদীয়মান ক্ষমতাবানরা আরেকজন হচ্ছেন কিম ইয়ং-চোল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-আনের শীর্ষ বৈঠকের পথ নাকি তিনিই তৈরি করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাৎ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক রক্ষা করে যে সরকারি দফতর, সেই ইউনাইটেড ফ্রন্ট ডিপার্টমেন্টেরও প্রধান ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা যখন ভেঙ্গে গেল তখন তার পদাবনতি ঘটে। কিন্তু এই স্পাই মাস্টার খুব বেশি সময় যে আড়ালে থাকবেন সেটার সম্ভাবনা কম। এখানেই শেষ নয়, আরও এক কিমের নাম শোনা যাচ্ছে, তিনি হচ্ছেন কিম জে-রিয়ং। তিনি স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী। এটি মোটামুটি প্রভাবশালী একটি পদ। তার সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তবে গত বছর যখন অন্যদের ভাগ্য খারাপ যাচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল যেন তার ভাগ্য খুলে গেছে। উত্তর কোরিয়ার সবচাইতে বিচ্ছিন্ন প্রদেশগুলোর পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তার। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শিল্প স্থাপনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এর মানে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে তার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও হয়তো ছিল। জং পিয়ং-টেক আরেকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। উত্তর কোরিয়ার স্টেট সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। উত্তর কোরিয়ায় রাজনৈতিক অপরাধের তদন্ত এবং সাজা দেয়া এদের কাজ। রাজনৈতিক নেতৃত্বের শারীরিক নিরাপত্তার দেখাশোনার দায়িত্বও তাদের। এগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, কারণ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এর ওপর নির্ভর করে। হোয়াং পিয়ং-সো হচ্ছেন আরেক জন কর্মকর্তা যিনি শীর্ষ সামরিক দায়িত্বে ছিলেন। চালিয়েছেন অর্গানাইজেশন এন্ড গাইডেন্স ডিপার্টমেন্টের (ওজিডি) মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর। তবে অন্য অনেকর মতো তিনিও পদাবনতির শিকার হয়েছেন। সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে কয়েকজন হাতেগোনা শীর্ষ জেনারেল রয়েছেন যারা ক্ষমতার পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কোরিয়ান পিপলস আর্মির পলিটব্যুরোতে এই মুহূর্তে দুটি শীর্ষ পদে আছেন দুজন জেনারেল। এরা হচ্ছেন কিম সু-গিল এবং কিম ওয়ান-হোং। এই ব্যুরোর দায়িত্ব হচ্ছে সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক আনুগত্য বজায় রাখা। দেশে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় তাদের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দুজনের মধ্যে নাকি দ্বন্দ্ব আছে। তারা দুজনেই কিম জং-আনের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। ক্ষমতাবান এই ব্যক্তিদের মধ্যে কে কার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবে আর কে কার মিত্র হবে? উত্তর কোরিয়ায় কি কিম ইয়ো-জং এর পক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি শিবির তৈরি হতে পারে? অথবা অস্থিতিশীলতার আশংকায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কী থেমে যেতে পারে? কারণ ক্ষমতাবানরা কেউই চাইবেন না তাদের পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধসে যাক, যার সুযোগ নিতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া বা এমনকী চীন। তবে এখনো পর্যন্ত কিম জং-আনের কোন নিখুঁত উত্তরসুরী নেই। তার বোন যদি দায়িত্ব নিতে চান তাকে লিঙ্গ বৈষম্যের প্রাচীর টপকাতে হবে। ভাঙ্গতে হবে পুরুষকেই উত্তরাধিকারি করার যে চিরাচরিত প্রথা, সেটি। অন্য যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কেউই সরাসরি অতি গুরুত্বপূর্ণ ‘পেকটু ব্লাডলাইনের‌’ কেউ নন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ভাবতে হবে তাদের রাষ্ট্রের ঐক্যের কথা, যেটি সব আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ভেঙ্গে এ পর্যন্ত বারে বারে টিকে গেছে।", "doc2": "Kim Jong-un 1948-ci ildə Kim Il-sung tərəfindən qurulan Şimali Koreya dövlətinin başında həmişə Kim ailəsinin kişi üzvü durub. Bu ölkəni idarə edən ailə haqqında mifologiya dərin köklərə malikdir. Mallima sürəti və ya Şimali Koreya qəzetlərini necə oxumalı? Şimali Koreya necə dəyişir? BBC müxbirindən nadir reportaj Möhtəşəm lider haqqında təbliğat vətəndaşlara hələ uşaq yaşlarında təqdim olunmağa başlayır: ölkə boyunca məktəbəqədər tədris müəssisələrində \"Öndərimiz Kim Jong-un-ı görmək istəyirəm\" adlı mahnı oxunur. Bəs, görəsən siyasi və rəmzi əhəmiyyət daşıyan bu şəxs xaricində ölkəni təsəvvür etmək mümkündürmü? Və elitalar özlərini və bütövlükdə cəmiyyəti necə təşkil edə bilər? Biz bu sualın cavabını sadəcə olaraq bilmirik. Daha maraqlı olan isə odur ki, cavabı heç onların özləri də bilmir. Çünki indiyədək belə bir şey baş verməyib. Kim ailəsi həmişə var olub... Şimali Koreyanın qurucusu Kim Il-sung-i vəzifədə oğlu Kim Jong-il əvəzləyib Kim Jong-unu vəzifəyə hazırlayarkən, onun hakimiyyətini legitimləşdirmək məqsədilə hətta \"Paektu nəsli\" ifadəsi ortaya çıxdı. Paektu, Kim Il-sunqun partizan müharibəsinə başladığı yer sayılır. Bura həmçinin Kim Jong-unun anadan olduğu deyilən müqəddəs və mifoloji dağ sırasıdır. Kim Jong-un mühüm siyasi qərarların əhəmiyyətini nümayiş etdirmək istədiyi zaman məhz bu dağın zirvəsinə baş çəkir. Kim ailəsinin bəzi üzvləri Şimali Koreyanın ideoloji qəlbində həmişə Kimlər ailəsi oub. Bəs, görəsən varissiz qalsa, Şimali Koreyanın vəziyyəti necə olardi? Deyilənə görə, 36 yaşlı Kim Jong-un-ın 3 övladı var. Lakin onlar hələ çox gəncdir - ən yaşlı uşağın 10, ən balacasının isə üç yaşında olduğu güman edilir. Kim Jong-un-ın özü də hakimiyyət başına gələndə gənc sayılırdı - onun cəmi 27 yaşı var idi. Vyetnamda olduğu kimi, Şimali Koreyada da hakimiyyət başına bir növ kollektiv rəhbərlik gələ bilə bilər. Belə bir qrup öz siyasi mövqelərini gücləndirmək üçün sabiq liderin siyasi irsi və legitimliyinə əsaslana bilər. Hazırda Şimali Koreyada əsas vəzifələrdə kimin olduğunu izləmək, açıq mənbələrdən vacib institutlar barədə məlumatları öyrənmək olar. Hərçənd ki, buna əsaslanan təhlilin öz çatışmaz tərəfləri var. Belə ki, klanlar arasında əlaqələrin inkişafını və şəxsi münasibətlərə söykənən real hakimiyyətin kimə məxsus olduğunu görmək çətindir. Üstəlik, bəzən müavinlər və ya rəhbərləri əvəzləyən rəsmilər öz müdirlərdən daha qüdrətli olurlar. Bu amil proqnozları xeyli çətinləşdirə bilər. Kim ailəsinin üç üzvü Kim Yo-jong, ali rəhbərlikdə təmsil olunan yeganə qadındır Kim Jong-un səhnədən yoxa çəkilərsə, Şimali Koreyanın gələcək siyasi quruluşuna Kim ailəsinin üç üzvü təsir göstərə bilər. Hər üçünün güclü və zəif tərəfləri var. Bu sırada duran ilk şəxs, Kim Jong-un-ın kiçik bacısı Kim Yo-jong-dur. Deyilənlərə görə, o, ən gənc yaşlarında siyasətə marağı ilə diqqəti özünə çəkərək atasının sevimlisi olub. Onun ünsiyyətdə effektiv, mülayim və olduqca diqqətli olduğu qeyd edilir. Sinqapurdakı Trump-Kim zirvə görüşündə, o, müqaviləni imzalamaq üçün əlində tutduğu qələmi öz qardaşına uzatdı. Hanoyda keçirilən növbəti görüşdə isə o, Kim Jong-un-ın iştirak etdiyi rəsmi çəkiliş mərasimini kənardan izləyərkən nəzərə çarpmışdı. Vyetnamdakı sammitdə buraxılan nöqsanlara görə, onun daha aşağı vəzifəyə keçirildiyi bildirilir, lakin bu məlumatı təsdiqləmək mümkün olmayıb. Kim Yo-jong ölkənin ali idarəetmə orqanı - Dövlət İşləri Komissiyasının üzvü olmasa da, Siyasi Büronun tam üzvlüyünə namizəddir və Koreya Xalq Demokratik Respublikası İşçi Partiyasının Təbliğat və Təşviqat şöbəsinin (PAD) müdir müavinidir. PAD qəribə bir qısaltma kimi səslənsə də, dövlət sisteminin daxilində ideoloji məsələlərə cavabdeh olan qüdrətli idarədir. Özünün yüksək nüfuzuna rəğmən Kim Yo-jong qadındır və patriarxal ölkədə onun rəhbər olmasını təsəvvür etmək çətindir. Kim Jong-chul ali vəzifəyə daha bir namizəd sayıla bilər. O, Kim Jong-unun böyük qardaşıdır, lakin heç vaxt siyasətə və ya hakimiyyətə maraq göstərməyib. (Onun Eric Clapton-un yaradıcılığı ilə maraqlandığı məlumdur.) Ən yaxşı halda Kim Jong-chul müəyyən bir fondun rəhbəri təyin olunaraq, ara-sıra nitqlərlə çıxış edə bilər. Və sonuncu mümkün namizəd Kim Pyong-il-dir. O, Şimali Koreyanın ikinci lideri - Kim Jong-ilin ögey qardaşıdır. 1979-cu ildə Avropaya göndərilən Kim Pyong-il müxtəlif ölkələrdə Şimali Koreyanın diplomatik missiyalarına rəhbərlik edib. O, ölkəyə yalnız keçən il qayıdıb və çox güman ki, siyasi fəaliyyəti üçün lazım olan əlaqələrə malik deyil. Hazırda Şimali Koreyanın ikinci ən güclü şəxsi Choe Ryong-hae Şimali Koreya liderinin xüsusi nümayəndəsi olaraq (sağda) xarici rəsmilərlə görüşür Kim Jong-un dövründə nüfuz sahibi olan digər şəxslər də var, amma onların kimlə əməkdaşlıq və ya rəqabət edəcəyini demək çətindir. Daha bir namizəd Choe Ryong-hae-dir. Onun Kim Jong-un hökumətində həm uğurları, həm də itkiləri olub. Lakin bir çox təlatümlü dövrləri arxada qoyan Choe Ryong-hae Siyasi Bürönun Rəyasət Heyətinə üzv seçilib və Dövlət İşləri Komissiyası sədrinin birinci müavinidir. Ötən il o, Ali Xalq Məclisi Rəyasət Heyətinin sədri təyin olunaraq, son 20 ildir ki, bu vəzifəni tutan ahıl yaşlı Kim Yong-nam-ı əvəzləyib və hazırda beynəlxalq danışıqlarda Şimalı Koreyanı təmsil edən yüksək rütbəli rəsmidir. Choe eyni zamanda, hərbi nazirlik və Koreyanın İşçi Partiyasının nüfuzlu Təşkilat və Rəhbərlik İdarəsində (TRİ) yüksək vəzifələr tutub. TRİ son dərəcə güclü qurumdur: o, Şimali Koreya ideologiyasına sadiqliyi təmin edir. Choe Ryong-hae Şimali Koreyanın ikinci ən güdrətli rəsmisi sayılır. Köhnə casuslar və yüksələn siyasi fiqurlar Kim Yong-chol Donald Trump ilə görüşmək üçün ABŞ-a səfər edib Daha bir namizəd Kim Yong-chol-du. General Kim Yong-chol Trump-Kim sammitini təşkil etmək üçün, ABŞ Dövlət Katibi Mike Pompeo ilə bir neçə dəfə görüşüb. O, Vahid Cəbhə İdarəsinin (Cənubi Koreya ilə əlaqələrə cavabdehdir) və ölkənin əsas kəşfiyyat orqanı - Baş Kəşfiyyat Bürosunun rəhbəri olub. Göründüyü kimi, ABŞ-la danışıqların dayandırılmasından sonra o, gözdən düşüb. Amma çox güman ki, bu kəşfiyyat generalı uzun müddət arxa planda qalmayacaq. Kim Jae-ryong daha bir mümkün namizəddir. O, Dövlət İşləri Komissiyasında təmsil olunub və ötən ildən bəri Nazirlər Kabinetinin başçısıdır. (Şimali Koreya siyasi sistemində Nazirlər Kabineti o qədər nüfuzlu qurum sayılmır.) Kim Jae-ryong haqqında məlumat nisbətən azdır. Lakin məlumdur ki, son illər ərzində uğursuzluğa düçar bir sıra rəsmilərlə müqayisədə onun mövqeləri xeyli möhkəmlənib. Kim Jae-ryong əsas hərbi-sənaye mərkəzlərinin yerləşdiyi ucqar əyalətə başçılıq edərək, bu sahəni yaxşı idarə etməklə ad çıxarıb. Bu, onun nüvə proqramında yaxından iştirak etməsinə dəlalət edə bilər. Jong Kyong-taek siyasi cinayətləri araşdırıb cəza verən Dövlət Təhlükəsizlik İdarəsinin (DTİ) direktorudur. DTİ həmçinin siyasi rəhbərliyin mühafizəsinə cavabdeh orqandır. O, sistemin daxili sabitliyini təmin etməkdə mühüm rol oynayır. Hwang Pyong-so Silahlı Qüvvələrin ali komandanlığında mühüm hərbi vəzifələrdə xidmət edib. O, həmçinin TRİ idarəsinə də rəhbərlik edib. Hwang Pyong-so (bir sıra başqa rəsmi kimi) töhmət alaraq cəzalandırılıb. Lakin onun reabilitasiya qazandığı barədə məlumat verilmir. 2010-cu illərin xarici siyasət dayaqları sayılan Ri Yong-ho və Ri Su-yong vəzifədən kənarlaşdırılıblar və onların yerinə Ri Son-Gwon və Kim Hyung-jun təyin olunub. Kim Hyung-jun-un general Kim Yong-chol-a yaxın olduğu güman edilir. Güc nazirlikləri Şimali Koreyadakı siyasi vəziyyətə Koreya Xalq Ordusunun (KXO) generalları da təsir göstərə bilər. Belə generallar arasında KXO Baş Siyasi Bürosunun (BSB) iki üzvünü - Kim Su-gil və Kim Won-hong-u qeyd etmək olar. Generalların üzv olduğu büro, şəxsi heyətin siyasi sədaqətini təmin edir ki, bu, qeyri-müəyyənliyin hökm sürdüyü keçid dövründə taleyüklü məsələ ola bilər. Ən üst elita arasında kimin kimə qarşı vuruşacağını demək çətindir. Bəs, görəsən qeyri-sabitlik qorxusu rəqabəti dayandıra bilərmi? Belə ki, dövlətin çökməsi nəticəsində ölkə üzərində nəzarət Cənubi Koreya və ya hətta Çinin əlinə keçə bilər. Bu, isə yəqin ki, heç bir aparıcı siyasətçinin marağına daxil deyil. Hazırda Şimali Koreya Xalq Demokratik Respublikasının ən yüksək vəzifəsinə ideal namizəd yoxdur: Kim Yo-jong-un namizədliyi patriarxal cəmiyyətdə seksizm və kişilərin varis olması ənənəsinə zidd ola bilər. Digər namizədlər mühüm Paektu nəslinin bilavasitə törəmələri deyil. Lakin onların hamısı beynəlxalq normalara məhəl qoymadan qoruduqları dövlətin birliyi barədə düşünməli olacaqlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49821526", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49822235", "doc1": "ন্যান্সি পেলোসি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট 'দায়বদ্ধতা প্রদর্শনে বাধ্য।' মি. ট্রাম্প কোনো ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই প্রয়াসকে পরিহাস করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে এই অভিশংসনের সমর্থন থাকলেও তদন্তে অগ্রগতি হওয়ার পর রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর এই বিতর্ক সামনে আসে। ঐ ফোনালাপে কী বিষয়ে কথা হয়েছে - সেবিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ডেমোক্র্যাটরা মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করলে ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। মি. জেলেনস্কির সাথে জো বাইডেনের বিষয়ে আলোচনা করার বিষয়ে স্বীকার করেছেন মি. ট্রাম্প, তবে তিনি বলেছেন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়ে তিনি ইউরোপের কাছ থেকে সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার, বিতর্কে মোদী ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এর আগে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছিলেন মিজ. পেলোসি কী বলেছেন? মিজ পেলোসি বলেছেন যে মি. ট্রাম্প 'আইন ভঙ্গ করেছেন', এবং মি. ট্রাম্পের কাজকে 'সাংবিধানিক দায়িত্বের লঙ্ঘন' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। \"এই সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে পদক্ষেপ নিতে বলার বিষয়টি তাকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করবে।\" \"এর জন্য তাকে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে,\" বলেন মিজ. পেলোসি। মি. বাইডেন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট তদন্তে সহযোগিতা না করলে নিজেও অভিশংসনের বিষয়টিকে সমর্থন করছেন। মি. বাইডেন বলছেন, \"মি. ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে ট্র্যাজেডি।\" ২০২০ নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ সংসদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কী? সর্দিজ্বর: কেন হয় এবং কী করবেন? বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী? ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে মি. ট্রাম্প দাবি করেছেন, ডেমোক্র্যাটরা 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার জাতিসংঘ সফর বানচাল' করার উদ্দেশ্যে এই ধরণের অভিযোগ ছড়াচ্ছে। \"এমনকি তারা ফোনালাপের ট্রানস্ক্রিপ্টও দেখেনি।\" ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপ যে 'সম্পূর্ণ যথাযথ' ছিল তা নিশ্চিত করতে বুধবার তাদের ফোনালাপের একটি লিখিত ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করবেন বলে জানান মি. ট্রাম্প। হাউজের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি বলেন: \"স্পিকার পেলোসি এই হাউজের স্পিকার হলেও এই বিষয়ে কথা হলে তিনি আমেরিকার জন্য কথা বলেন না।\" \"অভিশংসনের তদন্তের বিষয়টি তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।\" এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত সংস্থার পরিচালক জোসেফ ম্যাগওয়াইর কংগ্রেসে ফোনালাপ ফাঁসকারী ব্যক্তির রিপোর্ট পেশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, ফোনালাপ ফাঁসকারী আইনপ্রণেতাদের সাথে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন এবং হোয়াইট হাউজ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঐ ব্যক্তিকে কংগ্রেসে কথা বলার সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। জো বাইডেন (ডানে) এবং তার ছেলে হান্টার, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এরপর কী হবে? মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটি যাচাই করতে পারবে যে এটি অভিশংসন করার মত গুরুতর অপরাধ কিনা। মিজ. পেলোসি তার ঘোষণায় জানিয়েছেন, অন্যান্য বিষয়ে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আরো ছয়টি কমিটির যে তদন্ত চলছে তা চলমান থাকবে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে বা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পর্যন্ত গেলে এটি সহজেই পাস হয়ে যাবে যেহেতু সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ডেমোক্র্যাটদের। কিন্তু তারপর এটি সিনেটে যাবে যেখানে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে এটি পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ একটি সংস্থা ইউগভ'এর একটি জরিপে প্রকাশিত হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ওপর জোর প্রয়োগ করেছিলেন, এটি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ৫৫% আমেরিকান অভিশংসন সমর্থন করবেন।", "doc2": "ABŞ prezidenti Donald Trump ABŞ Nümayəndələr Palatasında demokratların lideri Nancy Pelosi deyib ki, prezident \"öz hərəkəti ilə bağlı hesab verməlidir\". Donald Trump ittihamı rədd edir, bunu \"cadugər ovu\" adlandırır. İmpiçmenti demokratların çoxluqda olduğu Nümayəndələr Palatası dəstəkləsə də, bu, respublikaçıların nəzarətində olan Senatda dəstəklənməyə də bilər. İmpiçment müzakirələrinə səbəb Donald Trump-ın Ukrayna prezidenti Volodymyr Zelensky ilə telefon danışığından kəşfiyyatın şikayət verməsiylə bağlı xəbərlərin yayılması olub. ABŞ Nümayəndələr Palatasında demokratların lideri Nancy Pelosi və Donald Trump Dəqiq nə deyildiyi bəlli olmasa da, demokratlar Trump-ı onda ittiham edirlər ki, o, ukraynalı həmkarını keçmiş vitse-prezident Joe Biden və onun oğlu Hunter-ə qarşı korrupsiya ittihamı üzrə araşdırma aparmadığı təqdirdə ABŞ-ın Ukraynaya hərbi yardımını kəsəcəyi ilə hədələyib. Donald Trump prezident Zelensky ilə telefon söhbətində Joe Biden-lə bağlı müzakirə apardığını etiraf edib, amma deyib ki, hərbi yardımın dayandırılması hədəsi ilə o, yalnız Avropanın köməyinin artırılmasına çalışıb. Trump və Zelensky arasında telefon söhbəti iyulun 25-də olub. Bundan sonra adı açıqlanmayan daxili kəşfiyyat müfəttişi bu söhbətlə bağlı şikayət verib. Avqust ayında müfəttiş bu şikayətlə bağlı Konkresə məlumat verib, amma qanuna müvafiq olaraq onun məzmununu açıqlamaqdan imtina edib. Məlum olub ki, Trump-ın Zelensky ilə telefon söhbətindən bir həftə əvvəl o, Ukraynaya təxminən 400 milyon dollarlıq hərbi yardımın dayandırılması ilə bağlı şəxsən göstəriş verib. Trump yardımı dayandırmasını etiraf edib, amma bildirib ki, bu qərarına səbəb Avropanın Ukraynaya yardımını yetərli saymaması olub. Zelensky ilə telefon sohbətində Trump xahiş edib ki, korrupsiyanın araşdırılmasına daha böyük diqqət ayırsın və xüsusilə göstərib ki, Biden-in fəaliyyətini araşdırsınlar. Trump ikinci gün verdiyi açıqlamada əmin edib ki, söhbətdə yanlışlığa yol verilməyib. O, söz verib ki, Ukrayna prezidenti ilə söhbətinin stenoqramını çərşənbə günü açıqlayacaq. Ukraynanın Xarici İşlər Nazirliyi bildirib ki, söhbət zamanı hər hansı təzyiq olmayıb. Ukrayna prezidenti Zelensky deyib ki, onun Trump-la söhbəti şəxsi və konfidensialdır. Keçmiş vitse-prezident Joe Biden 2020-ci ildə keçiriləcək prezident seçkisində iştirak edəcəyini bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40490446", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-37276548", "doc1": "চলতি বছর ১১টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউহাপ নিউজ এজেন্সি জানায়, স্থানীয় সময় ৯টা ৪০ মিনিটে উত্তর পিয়ংগান প্রদেশ থেকে এই মিসাইল ছোঁড়া হয়। টোকিও বলছে, জাপান সাগরের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হেনেছে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ওই অঞ্চলে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় প্রায়৪০ মিনিট উড়ে ৯৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার পর জাপান সাগরে পতিত হয়েছে। যদিও একদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, চলতি বছর উত্তর কোরিয়া যে কয়টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে আজকেরটি ১১তম। গত মে মাসে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। আরো পড়তে পারেন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পৃথিবীর ক্ষতি করবে: স্টিফেন হকিং ফরহাদ মজহার 'স্বেচ্ছায়' বাড়ি ছেড়েছেন: পুলিশ মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত ভবনের সন্ধান মিললো মেক্সিকোতে", "doc2": "Şimali Koreyanın bundan əvvəl buraxdığına bənzər Scud raketinin replikası Raketlər Hwangju regionundan atlıb, Yonhap xəbərlər agentliyi Cənubi Koreyanın hərbi komandanlığına istinadla bildirir. Raketlərin növü və hansı məsafəyə atılması barədə məlumat yoxdur. Şimali Koreyaya nüvə və ya ballistik raket texologiyasını sınaqdan keçirmək qadağan olunub, amma son aylarda bu ölkə dəfələrlə raket sınağı keçirib. Cəmi iki həftə əvvəl Şimali Koreya şərq sahilindən, donanma gəmisindən raket atmışdı. Bu, Cənubi Koreya və ABŞ-ın illik hərbi təlimlər keçirdiyi vaxtda baş vermişdi - adətən bu təlimlər Şimali Koreyanı qəzəbləndirir. Bu dəfə isə Şimali Koreyanın dənizə raket atması dünya liderlərinin G20 iqtisadi sammiti üçün Çində toplaşdığı bir vaxtda baş verir. Çin ilk dəfədir ki, belə bir zirvə toplantısına rəhbərlik edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54154699", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan/2016/01/160114_bread_flour_price", "doc1": "ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যায় এবার গ্রীস্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। কোন কোন নগরীতে প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ ষাট সেন্টেও বিক্রি হচ্ছিল। দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড আছে, তার প্রধান অমিত যাদবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ হচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না, তেমনি কর্ণাটক বা তামিলনাডু থেকেও পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। এই বিবৃতিতে অবশ্য রপ্তানি বন্ধের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেটাই এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেও ভারত একেবারে আচমকা বাংলাদেশসহ সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমদানি করার ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। গত বছরের ঐ সিদ্ধান্তের পর সাথে সাথেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল কয়েক মাস। ভারত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে। দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালীতে পেঁয়াজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভারতের পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাও ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।", "doc2": "Manatın məzənnəsinin aşağı düşməsinin ardından insanlar un və çörəyin qiymətinin artdığını bildirirdilər Cümə günündən etibarən bu qayda ölkə boyunca tətbiq olunacaq. Manatın məzənnəsinin aşağı düşməsinin ardından ölkədə un və çörəyin qiymətinin artdığı müşahidə olunub. Unun yeni qiymətinə uyğun olaraq, 500 qramlıq çörəyin 30 qəpiyə, 700 qramlıq çörək isə 40 qəpiyə satılacağı bildirilir. “Un və çörəyi göstərilən qiymətlərdən artıq qiymətə təklif edən şəxslərə qarşı ən ciddi məsuliyyət tədbirləri görüləcək,” İqtisadiyyat və Sənaye Nazirliyinin məlumatında deyilir. Son günlər Azərbaycanın bir sıra bölgəsində qiymət artımına və işsizliyə qarşı etiraz nümayişləri keçirən sakinlər həm də çörəyin qiymətinin qalxmasından narazılıqlarını bildirirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46098439", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-46069038", "doc1": "তেহরানের বিক্ষোভে মার্কিন ডলারে আগুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পর ইরানের বিরুদ্ধে এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। ইরানের ৭০০-রও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, জাহাজ এবং বিমানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্রাসেলস-ভিত্তিক সুইফট নেটওয়ার্ক ইরানের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেবে বলে জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরানের তেল রপ্তানি যেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে খবর পাওয়া গেছে, ইরান তেল আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আটটি দেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: ইটালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং চীন। ইরান এখন অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থায় - প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি \"অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার\" মধ্যে ইরান ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশ এখন অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে। এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ এবং অন্যায় বলে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, তারা মাথা উঁচু করে চলতে চান, এবং যে কোনো ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা তারা ভাঙবেন। তবে কিভাবে ইরান নিষেধাজ্ঞা ভাঙবে সেটা পরিষ্কার নয়। ইরানের তেল রপ্তানী শূন্যে নামিয়ে আনতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা মানবে না ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এই নিষেধাজ্ঞার জোরালো বিরোধিতা আসছে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির তরফ থেকে যারা এখনো ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ। এসব দেশ বলছে, তারা ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করবে যাতে তারা ইরানের সঙ্গে আইন মেনে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। ইরানের সাথে আর্থিক লেনদেনের জন্য এই তিনিটি ইউরোপীয় দেশ টস্পেশাল পারপাজ ভেহিকেলট বা এসভিপি নামে বিকল্প একটি লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন বিশ্ব-বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রাধান্য তাতে ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের এই পদক্ষেপ খুব একটা কাজে দেবেনা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার আগেই একশরও বেশি বড় বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইরানের সাথে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে।", "doc2": "Tehranda keçmiş ABŞ səfirliyinin ərazisində nümayiş Minlərlə iranlı bazar günü \"Amerikaya ölüm!\" şüarı altında nümayiş keçirib. Iran prezidenti Hassan Rouhani nefti satmağa və sanksiyaları pozmağa söz verib. Bildirildiyinə görə, İran hərbisi ölkənin imkanlarını göstərmək üçün hərbi-təlimlər keçirəcək. Nümayişlər ABŞ-ın Tehrandakı səfirliyinin tutulmasının 39-cu ildönümü münasibətilə həmin ərazidə keçirilib. ABŞ prezidenti Donald Trump bildirib ki, İrana sanksiyalar \"çox güclüdür\". O, \"bu sanksiyalar nə vaxtsa tətbiq etdiyimizdən daha güclüdür. \"Biz İrana nə olduğunu görəcəyik, ancaq yaxşı bir şey olmayacaq, bunu sizə deyə bilərəm\", söyləyib. Donald Trump mayda 2015-ci il İranla nüvə sazişindən çıxandan sonra Washington sanksiyalar tətbiq edib. Bu nə vaxtdan başlayıb? Donald Trump mayda 2015-ci il İranla nüvə sazişindən çıxandan sonra Washington sanksiyalar tətbiq edib. Rəsmi Washington bəyan edib ki, ABŞ Tehranın kiber hücumlar, ballistik raketlərin sınağı, Yaxın Şərqdə radikal qruplara verdiyi dəstək də daxil \"düşməncəsinə\" fəaliyyətinə son versin. ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo bazar günü Fox News-a deyib ki, onlar İran xalqını müdafiə edirlər, hədəfləri İranın \"düşməncəsinə davranışını\" dəyişməyə nail olmaqdır. ABŞ İrana tədricən sanksiyalar tətbiq edirdi, amma ekspertlər deyirlər ki, indiki addımlar daha ciddidir. ABŞ dövlət katibi Mike Pompeo Fox News-a bazar günü deyib ki, hədəfləri İranın \"düşməncəsinə davranışını\" dəyişməyə nail olmaqdır Sanskiyaların əhatə dairəsi 700-dən çox şəxs, banklar, neft ixracatçıları, gəmi şirkətləri sanksiya siyahısına düşüb. Mike Pompeo deyib ki, 100-dən çox böyük xarici şirkət sanksiyalara görə İrandan sərmayələrini geri çəkiblər. O bildirib ki, neft ixracı gündə bir milyon barelə düşüb və ölkənin əsas maliyyə mənbəyi məhdudlaşıb. Bundan başqa, gözlənir ki, Brüsseldə yerləşən bütün dünya bankları arasında maliyyə kanalı olan SWIFT də İran bankları ilə əməkdaşlığını kəsəcək. Avropa və Asiya ölkələrinə təsiri İranla nüvə sazişinə sadiq qalan beş ölkədən Böyük Britaniya, Almaniya və Fransa sanksiyalara etiraz edib. Onların vədinə görə, alternativ ödəmə sistemi yaradılacaq. Bu isə şirkətlərə ABŞ cərimələrinə tuş gəlmədən İranla \"qanuni ticarət\" aparmağa yardım edəcək. Hərçənd bu yaxınlarda ABŞ rəsmisi Steven Mnuchin deyib ki, onlar sanksiyaları pozanlara qarşı sərt addım atacaqlar. Ancaq Trump administrasiyası ad çəkməsə də, bəzi ölkələrin sanksiyalara əməl etməli olmadığını bildirib. Güman edilir ki, bu ölkələr Türkiyə, Yaponiya, Hindistan, İtaliya, Cənubi Koreya və Çindir. Ayatollah Khamenei şənbə günü bildirib ki, ABŞ 1979-ci ilə qədər İran üzərindəki dominatlığını bərpa edə bilməyəcək. ABŞ-la İran arasında münasibətlər 1979-cu ildən korlanıb. Həmin vaxt ABŞ-ın Tehrandakı səfirliyi mühasirəyə alınıb, 52 amerikalı 444 gün səfirlikdə girov qalıb. O vaxtdan bəri iki ölkə arasında düşmən münasibətlər var. Ayatollah Khamenei şənbə günü bildirib ki, ABŞ 1979-ci ilə qədər İran üzərində mövcud olmuş dominantlığını bərpa edə bilməyəcək. Eyni zamanda iranlılar #Sorry_US_Embassy_Siege həştəqi altında 19 mindən çox tvit atıblar. Bir Twitter istifadəçi ingilis dilində: \"40 ildən çoxdur ki, İranın İslam rejimi ABŞ və İsraili düşmən kimi təqdim etməyə çalışır. Ancaq iranlılar mollalar kimi fikirləşmir. Biz bütün xalqları və bütün dünyanın insanlarını sevirik\" yazıb. Digəri isə yazıb: \"Amerika bizim düşmənimiz deyil, bizim düşmənlərimiz bizi öz ölkəmizdə girov saxlayanlardır\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40876557", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-40898205", "doc1": "পালক শর্মার টুইটের পর তাকে নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে ভারতের চন্ডীগড়ে ডিজে-র কাজ করেন বর্ণিকা কুণ্ডু। গত শুক্রবার রাতে তিনি যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন তার গাড়িকে পেছন থেকে গাড়ি নিয়ে কয়েকজন ছেলে ধাওয়া করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ওই ছেলেদের মধ্যে একজন ছিলেন ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন প্রথম সারির রাজনীতিকের ছেলে, বিকাশ বারালা। বিবিসির গীতা পাণ্ডে জানাচ্ছেন মি: বারালাকে বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে \"উত্যক্ত করা, মদ খেয়ে গাড়ি চালানো এবং অপহরণের চেষ্টার\" অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্ণিকার অভিযোগ তাকে \"গাড়ি নিয়ে পেছু-ধাওয়া এবং প্রায় অপহরণের\" চেষ্টা করা হয় এবং তাকে যে \"ধর্ষণ ও হত্যা করে কোনো খানা-খন্দে ফেলে দেওয়া হয়নি\" তার কারণ তিনি বিপদে বলে পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মিস কুণ্ডু ফেসবুকে তার এই ঘটনা সম্পর্কে পোস্ট দেবার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং মিস কুণ্ডুর এই ঘটনার জন্য হরিয়ানা রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি রাজনীতিক রামবীর ভাট্টি মেয়েটির ওপরই দোষারোপ করেন। \"মেয়েদের মাঝরাতে বাইরে বেরন উচিত নয়,\" সিএনএন নিউজ এইট চ্যানেলকে একথা বলেন মি: ভাট্টি। \"মেয়েটি এত রাতে গাড়ি চালাচ্ছিল কেন? দিনকাল ভাল না। আমাদের নিজেদের দেখাশোনা নিজেদেরই করতে হবে।\" মি: ভাট্টি এরপর টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন \"বাপ-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের দেখা। সন্তানদের রাতে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া তাদের উচিত নয়। বাচ্চাদের সময়ে ঘরে ফেরা উচিত। রাতের বেলা কেন তারা বাইরে ঘুরবে?\" ঘটনার শিকার যে মেয়ে তাকে \"লজ্জা দিয়ে\" রাজনীতিকের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এবং মেয়েরা রাতের বেলা তাদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি পোস্ট করছে #AintNoCinderalla এই হ্যাশট্যাগে- অর্থাৎ আমি রূপকথার সেই সিন্ডারেলা নই যে রাত বারোটা বাজার আগেই আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। গীতা পাণ্ডে বলছেন এই প্রচারণার উদ্যোক্তা বিরোধী কংগ্রেস দলের সোসাল মিডিয়া সেলের প্রধান দিব্যা স্পন্দনা। তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী পর্দায় যার নাম রম্যা। তিনি প্রশ্ন তোলেন মেয়েরা কেন মাঝরাতের পর বেরতে পারবে না? \"মি: ভাট্টির কাছে আমার প্রশ্ন মেয়েদের উপর কারফিউ জারি করার তিনি কে? আমি জানতে চাই আমাদের দিকে তিনি কেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন? এটা খুবই পশ্চাদপদ মনোভাব,\" বিবিসিকে বলেন মিজ স্পন্দনা। দিব্যা স্পন্দনা এই প্রচারণার উদ্যোক্তা এবং তার টুইট এই প্রতিবাদের সূচনা দিব্যা স্পন্দনা সোমবার তার হোয়াটসআপ গ্রুপে কিছু মেয়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠান: \"একজন 'নেতা' যার যে কোন বিষয়ে কথা বলা সাজে না, তার মুখে এমন পশ্চাদপদ মন্তব্য তোমরা কতবার শুনেছো? আমার উত্তর হবে- প্রায়ই।\" \"এখন তারা বলছে আমরা কখন বাসা থেকে বেরব অথবা বেরব না- এটা বন্ধ হওয়া দরকার,\" তিনি বলেন। এরপর তিনি টুইটারে তার রাতে বেরনর ছবি পোস্ট করেন এবং অন্যদেরও তা করার আহ্বান জানান। তার এই আহ্বান মেয়েদের মধ্যে দ্রুত সাড়া ফেলে এবং এধরনের ঘটনায় সবসময় মেয়েদের উপর দোষ চাপানোর প্রতিবাদ জানাতে শত শত মেয়ে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে তাদের ছবি পোস্ট করতে শুরু করে। প্রথম যে কয়জন মেয়ে 'মাঝরাতের সেলফি' পোস্ট করেন তাদের মধ্যে ছিলেন ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জ্জীর মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জ্জী। তিনি লেখেন : \"আমি রাত বারোটায় বাড়ির বাইরে- তার মানে এই নয় যে আমাকে ধর্ষিতা, নির্যাতিতা বা ধাওয়ার শিকার হতে হবে। আমার সাতদিন ২৪ ঘন্টা সম্মান পাবার অধিকার আছে।\" আরো পড়ুন: প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' ভারতে গরু নিয়ে তুলকালাম, চামড়া শিল্প নিয়ে উদ্বেগ শর্মিষ্ঠা মুখার্জ্জীর টুইট অনেকেই এরপর নানাধরনের প্রতিবাদী মন্তব্য পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে। যেমন নিচের বার্তায় পূজা লেখেন: \"প্রিয় পশ্চাদপদ ভারত- আমার যা খুশি আমি তাই করব- রাতে অথবা দিনে। ভুলেও ভেবো না আমাকে থামানোর অধিকার তোমার আছে।\" পূজার টুইট ঘরের বাইরে বেরনর সময় হয়েছে- টুইট #AintNoCinderella শারিকা মেননের টুইট বার্তা সাংবাদিক পালক শর্মা তার যে ছবি পোস্ট করেন তাতে দেখা যায় তিনি পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চোখ মারছেন । তিনি লেখেন -এখন মাঝরাত- আমি বাইরে। তার এই ছবি ও বার্তাকে ''দু:সাহসী'' মন্তব্য করে অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পালক শর্মার টুইটের পর তাকে নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে তবে বিবিসিকে পালক শর্মা বলেছেন, ''গত দুদিনে আমি প্রচুর হুমকিও পেয়েছি। লোকে আমাকে পতিতা-এধরনের মন্তব্যও করেছে।'' ''ভাবুন- আমি একজন সাংবাদিক, আমি সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াতে কাজ করি। তা সত্ত্বেও আমার টুইটের জন্য আমাকে হুমকি শুনতে হচ্ছে,'' তিনি বলেন। ''তবে আমি ভয় পাইনা,'' মিস শর্মা বলেন। ''এসব আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না, আমরা এদের ভয়ে গুটিয়ে যাব না। আমরা সিন্ডারেলা নই - যে বারোটার আগেই আমাদের ঘরে ফিরে আসতে হবে।'' এই প্রচারণায় সুর মেলাচ্ছেন অনেক মহিলা। বিবিসির গীতা পান্ডে বলছেন অন্তত তাদের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে না তারা ভীত।", "doc2": "Sosial şəbəkə kampaniyasında iştirak edən Palak Sharma şəklini çəkərək \"Eyyy, baxın gecə yarısıdır və mən küçədəyəm\" yazıb. Kampaniya bir siyasətçinin gecə vaxtı zorakılığa məruz qalan qadın barədə \"O qədər gec vaxtda küçəyə çıxmamalıydı\" deməsindən sonra başlayıb. Hindistanın şimalında yerləşən Chandigarh şəhərində DJ kimi fəaliyyət göstərən Varnika Kundu ötən cümə günü avtomobilində evinə qayıdarkən iki kişi tərəfindən təqib edildiyini və zorakılığa məruz qaldığını söyləmişdi. İddiaya görə, kişilərdən biri Hindistanın hökumət partiyası Baharatiya Canatana-nın (BJP) öndə gedən liderlərindən birinin oğlu Vikas Barala olub. Barala bu gün həbs edilib. Polisdən verilən məlumata görə, siyasətçinin oğlu \"zorakılıqda, içkili vəziyyətdə avtomobil idarə etməkdə və adam qaçırmağa cəhddə\" ittiham olunur. Zorakılığa məruz qalan Kundu təqib edənlərin onu qaçırmağa çalışdığını söyləyərək, \"bu gün zorlandıqdan sonra cəsədim bir xəndəyə atılmamışsa, bunun səbəbi polisin mənim imdad zəngimə cavab verib vaxtında kömək etməsidir\" deyib. Kundu-nun Facebook-da başına gələnləri anlatdığı paylaşımı sürətlə yayıldıqdan sonra BJP-nin öndə gedən liderlərindən biri Ramveer Bhatti başına gələnlərə görə qadını ittiham edən bir açıqlama verib. Bhatti CNN-News18 telekanalına verdiyi müsahibədə \"O qız gecə saat 12-də küçədə olmamalı idi. Niyə gecə vaxtı avtomobil idarə edirdi ki? Mühit buna uyğun deyil. Diqqətli olmaq məcburiyyətindəyik\" deyib. \"Analar və atalar uşaqlarına nəzarət etməlidirlər. Onları gecə küçələrə buraxmamalıdırlar. Uşaqlar evə vaxtında gəlməlidirlər. Onlar gecə vaxtı küçələrdə niyə gəzməlidirlər ki?\", siyasətçi The Times of İndia qəzetinə verdiyi açıqlamada fikirlərini belə ifadə edib. Lakin \"qurbanı ittiham etmək\" yanaşması dərhal diqqəti çəkib və qısa müddət ərzində qadınlar gecə vaxtlarında küçələrdə əylənərkən çəkdirdikləri şəkilləri sosial şəbəkələrdə \"#AintNoCinderella\" həştəqilə paylaşmağa başlayıblar. Kampaniyanı müxalifət yönlü Kongre Partiyasının sosial media üzrə cavabdeh nümayəndəsi və məşhur aktrisa Divya Spandana bazar ertəsi günü bir tvitlə başladıb. Spandana BBC-yə verdiyi müsahibədə \"Qadınlar gecə vaxtı niyə küçəyə çıxa bilməzlər ki? Bhatti kimi bəylərdən soruşuram, kimdir bizə gecə vaxtı küçəyə çıxmağı qadağan edən? Ondan soruşuram o kimdir ki, bizi ittiham edir. Bu çox əsəbləşdirici təfəkkürdür\" deyib. \"Xanımlar bir liderin ağzından bu qədər gərginlik yaradan ifadələri tez-tezmi eşidirsiniz? Mənim cavabım, bəli həddən artıq çox. Bu dəfə bizə evdən nə vaxtı çıxıb-çıxmayacağımızı deyirlər. Buna artıq son qoymaq lazımdır. \"Məhşur aktrisa media kampaniyasını başlatdığı ismarıcında belə yazıb. Spandana sonra bir gecə əyləncəsi zamanı çəkilən şəklini \"Mən Sinderella deyiləm\" həştəqilə paylaşaraq digər qadınları da kampaniyada iştirak etməyə çağırmışdı. Kampaniya qısa müddət ərzində canlandı və yüzlərlə qadın sosial şəbəkələrdə bu həştəqlə şəkillərini paylaşmağa başladı. İlk tvit yazanlardan biri də Konqres Partiyasının lideri və Hindistanın keçmiş naziri Pranab Mukherjee-nin qızı Sharmistha Mukherjee olub. Konqres Partiyasının lideri və Hindistanın keçmiş naziri Pranab Mukherjee-nin qızı Sharmistha Mukherjee yazıb: \"Gecə 12-də küçədə olmağım təcavüzə məruz qalacağım demək deyil. Ləyaqət haqqımdır\". Qadınların etirazı yüzlərlə ismarışla sosial şəbəkələrdə əks olunub. \"Ürəyim istediyini edərəm. Gecə ya da gündüz. Məni dayandırmağa haqqın olması ağlından belə gətirmə!\" Bayıra çıxmaq vaxtı \"Sinderella deyiləm\" həştəqi Jurnalist Palak Sharma gecə vaxtı əlində içki ilə göz qırpdığı şəklini paylaşandan sonra ona dəstək mesajları gəlib. Lakin Sharma BBC-ə açıqlamasında son iki gün ərzində çoxlu hədələndiyini və tənqid dolu ismarışlar aldığını bildirib. Sharma buna cavab olaraq \"Qorxmuram\" deyir. \"Bizi heç nə dayandıra bilməz. Heç bir hədə bizi qorxuda bilməz. Biz Sinderella deyilik. Gecə yarısı evdə olmağımıza ehtiyac yoxdu\". Sosial şəbəkə kampaniyasında iştirak edənlərin getdikcə artması həqiqətən də qadınların qorxmadığına dəlalət edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51733916", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51624933", "doc1": "চীন থেকে ফেরত আসা অনেক বাংলাদেশিদের প্রথমেই কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই রোগ এখন ২৬টির বেশি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এজন্য ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে বিশেষ কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা বাংলাদেশ সফরে আসবেন, তাদেরকে দু সপ্তাহ স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ৩১২জন বাংলাদেশি ফেরত আসেন, তাদের ঢাকার আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প ও সিএমএইচের কোয়ারেন্টিনে দুই সপ্তাহ রাখা হয়। সেখানে তাদের সময়টা কেমন কেটেছে? বিবিসি বাংলার কাছে বর্ণনা করেছেন দুইজন বাংলাদেশি নারী। তাদের একজন আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে ছিলেন, আরেকজন ছিলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচে। তাদের নাম পরিচয় এখানে প্রকাশ করা হয়নি। আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে যিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন: চীনের উহান থেকে ৩১শে জানুয়ারি আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। সাধারণত আমার বাসা থেকে বিমানবন্দর যেতে আধঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু সেদিন একটু পরপরই আমাদের গাড়ি থামিয়ে চেক করা হচ্ছিল। আমার উহান ছাড়ার অনুমতি আছে কিনা, সেটা দেখা হচ্ছিল। ফলে বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেখানেও আমাদের আরেক দফা পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। এরপর আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আগেই আমরা জানতাম যে, দেশে ফেরার পর আমাদের কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাই আমাদের একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল। তা নিয়ে আমাদের কোন আপত্তিও ছিল না। কারণ আমরাও চাই, আমাদের কারণে কোনভাবে রোগটি আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে। বিমান থেকে নামার পর আমাদের আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখি, মেঝেতে ঢালাওভাবে অনেক বিছানা রাখা হয়েছে। একেকটি কক্ষে প্রায় ৪০ জন করে থাকতে হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের পরিবারগুলো অন্তত আলাদা রুম পাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমার সঙ্গে আমার দুই শিশু সন্তান আর স্বামী ছিলেন। আমাদের মতো এরকম আরো অনেক পরিবার ছিল। প্রথম দিনটি সবাই মিলে সেই গণরুমে একসঙ্গেই থাকা হয়। প্রথম দিনটা একটু কষ্টই লাগছিল। কিন্তু আমরা মেনে নেয়ার চেষ্টা করছিলাম যে, দেশের স্বার্থে সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। পরেরদিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আমাদের পরিবারগুলোকে একটি কক্ষ দেয়া হলো। সেটাও বড় একটি কক্ষ। আর ব্যাচেলররা ছিলেন আরেকটি কক্ষে। চীনের উহান থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমাদের চারজনের জন্য মেঝেতে ম্যাট্রেস দেয়া ছিল। সেগুলো আমরা এক করে নিলাম। সেগুলোকে ঘিরে আমরা সবগুলো পরিবার আলাদা আলাদা ভাবে চাদর ঝুলিয়ে নেয়, ফলে পরিবারের জন্য একটু প্রাইভেসি তৈরি করা হলো। জনপ্রতি একটা করে মেঝেতে বিছানো তোষক, চাদর, বালিশ, কম্বল, মশারি দেয়া হয়েছিল। তবে হজ্ব ক্যাম্পের গণ টয়লেটগুলোই আমাদের সবাইকে ব্যবহার করতে হতো। সেখানে ছেলে-মেয়ে-শিশু বলে আলাদা কোন ব্যাপার নেই। তবে খাবার খুব ভালো ছিল। সকালে রুটি, ডিম, কলা দেয়া হতো। এগারোটার দিকে কলা, লেক্সাস বিস্কিট, সিঙ্গারা, পুরি ইত্যাদি নাস্তা দিতো। দুপুরে দিতো মাছ, ডাল, ভাত। কখনো কখনো সবজি থাকতো। বিকালে দিতো ড্রাই কেক,কলা। প্রতিদিন রাতের খাবারে থাকতো মুরগির মাংস, ডাল, ভাত। আমাদের রুমের সামনে একটি টেবিলে জনপ্রতি প্যাকেট করা খাবার রেখে যাওয়া হতো। যারযার পরিবারের খাবার সবাই নিয়ে আসতো। পানির জন্য মিনারেল ওয়াটারের বোতল দেয়া হতো। তবে আমার ছোট ছেলেটার খাবার খেতে একটু কষ্ট হতো। ওরা চীনের খাবারে অভ্যস্ত ছিল, বাংলাদেশের খাবার ঠিকমতো খেতে পারছিল না। টয়লেটেও সমস্যা হতো। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন প্রচুর মশা ছিল। সেই মশা মারার জন্য যখন ঔষধ দিতো, সেটাও তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতো। তবে বাচ্চাদের সঙ্গীর অভাব ছিল না। একটি কক্ষে অনেক বাচ্চা একসঙ্গে থাকায় তারা বেশ হৈচৈ করে সময় কাটাতো। উহানে থাকার কারণে তারা অনেকে একে অপরকে চিনতোও। তবে আমাদের কোন জিনিসের দরকার হলে, টাকা দিয়ে সেটা বাইরে থেকে কিনে আনানো যেতো। সকাল ১১টার মধ্যে টাকা জমা দেয়া হলে, সেটা বাইরে থেকে কিনে এনে দেয়া হতো। আমরাও টুকটাক জিনিসপত্র কিনে আনিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ও আমার স্বামী মানসিকভাবে একেবারেই ভালো ছিলাম না। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করতে হতো, মশার কামড় - পরিবেশটাও ততটা ভালো লাগতো না। এককথায় বলা যায়, মানসিকভাবে খারাপই ছিলাম। ১৪ দিন যখন শেষ হলো, তখন মনে হলো সবাই যেন একটা রিলিফ পেলাম। ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি গ্রামের বাড়িতে চলে যাই। এরপরে কয়েকবার ঢাকা থেকে ফোন করে আমাদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। কোন অসুস্থতা আছে কিনা, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে। সিএমএইচ-এ কোয়ারেন্টিনে থাকা একজনের গল্প উহানেও আমরা অনেকটা কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ছিলাম। কারণ সেখানে সবাইকে যার যার বাসায় থাকতে বলা হয়েছিল। কেউ বাইরে বের হতাম না। মাঝে মাঝে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে পরীক্ষা করে যেতেন, কারো জ্বরজারি হয়েছে কি না। সবাই সুস্থ আছে কি না। পহেলা ফেব্রুয়ারি আমরা বাংলাদেশে আসার পরেই আমাদের সরাসরি আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ঢালাও বিছানা- পরিবেশ দেশে সত্যিই আমাদের মন খারাপ হলো। কোয়ারেন্টিন মানেতো প্রত্যেককে আলাদা করে রাখার কথা। কিন্তু এখানে গণরুমের মতো একেকটি কক্ষে একসঙ্গে অনেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজনের রোগ থাকলে সেটা তো অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডেস্ক খাবার-দাবার, আয়োজন ভালো। কিন্তু পরিবার নিয়ে এতোবড় গণরুমে, এতো মানুষের মধ্যে মেঝেতে বিছানো তোষকে করে ঘুমানো- সব মিলিয়ে পরিবেশটা আমার খারাপ লাগছিল। সেখানে একরাত থাকার পর, আমরা আপত্তি জানাই। এরপর আমাদেরসহ আরো কয়েকটি পরিবারকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের একটি কক্ষে আমাকে ও আমার দুই সন্তানকে থাকতে দেয়া হয়। এখানকার পরিবেশ সত্যিই ভালো ছিল। ছোট কক্ষটিতে দুইটি খাট, ছোট্ট একটা টেবিল ছিল। দুইটি খাট একত্র করে আমি ও আমার দুই সন্তান পরের দুই সপ্তাহ সেখানে থাকি। তবে টয়লেট বাইরে ছিল। পাশের আরেকটা কক্ষে আমাদের মতোই আরেকটা পরিবার থাকতো। আমার বড় মেয়েটির বয়স দশ বছর। ও খানিকটা অস্থির হয়ে পড়ছিল। কারণ এরকম একটি কক্ষে এভাবে আটকা থাকা কারোই ভালো লাগছিল না। রুমে কোন টিভি না থাকলেও ওয়াইফাই সুবিধা ছিল। এছাড়া টেলিফোনে আমার স্বামীর সঙ্গে (তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন), আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। তবে প্রথম সাতদিন আমরা রুমের বাইরেই বের হয়নি। তাদেরও হয়তো একটা ধারণা ছিল যে, আমরা সবাই হয়তো আক্রান্ত। সপ্তাহখানেক পর আমার মেয়েটা করিডরে স্কেটিং করতো। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জের পড়েছে বিমান ভ্রমণেও তারা পাঁচবেলা খাবার দিতো। সকালে থাকতো পাউরুটি, বাটার, জেলি, জুস, ডিম ইত্যাদি। এগারোটার দিকে এককাপ করে দুধ, কোনদিন সেমাই, কমলা দিতো। দুপুরে মাংস, ডাল, ভাত থাকতো। বিকালে দেয়া হতো বিস্কিট চা। রাতে একবাটি করে সবজি, মাছ অথবা মাংস দিতো। অনেক সময় কলিজা থাকতো। সেই সঙ্গে থাকতো ভাত আর ডাল। কেউ কোন ক্রুটি করেনি। কিন্তু আমার মানসিক অনেক চাপ গেছে। ওই সময়ে আসলে দরকার ছিল কেউ আমার বাচ্চাদের দেখবে, আমার একটু রেস্ট হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সবসময় সবার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু বাইরে আসার যে আকুতি, সেটা কমেনি। যেদিন আসার কথা, সেদিন আবার আমাদের আশকোনায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটা অনুষ্ঠান করে আমাদের একটা মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়া হয়, কিছু উপহার দেয়া হয়। বলা হয়েছিল, পরের দশদিনও আমাদের নজরদারিতে রাখা হবে। তবে পরে আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ওনাদের ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমাদের কারো দরকার হলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তবে আমি যে কয়েকদিন ছিলাম, আমি চেষ্টা করেছি সেখানে থাকার। কারণ এটা আমার দেশের জন্য, আত্মীয়স্বজনের জন্য সবার স্বার্থেই ভালো। আমার কষ্ট হলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কথা মনে হয়নি।", "doc2": "ÜST bildirib ki, indi bu yayılmanı pandemiya adlandırmaq tezdir, lakin ölkələr buna \"hazırlıqlı olmalıdırlar\". Pandemiya bir yoluxucu xəstəliyin dünyanın bir çox yerində və ya bütün yer kürəsində insandan-insana asanlıqla yayılmasıdır. Tənəffüs xəstəliyinə səbəb olan Covid-19 virusunun daha çox yayılması halları davam edir, Cənubi Koreya, İtaliya və İranda baş verənlər narahatlıq doğurur. ÜST hazırda Azərbaycanda koronavirusa (COVID-19) yoluxma halının qeydə alınmadığını bildirib. Bununla yanaşı, infeksiyaların çoxu virusun əsl mənbəyi olan Çindədir, burada indiyədək təxminən 77 min insanın bu virusa yoluxduğu və 2600-dən çox şəxsin isə öldüyü bildirilir. İndiyədək təxminən 30-a yaxın ölkədə 1200-dən çox koronavirus hadisəsi təsdiqlənib və 20-dən çox ölüm hadisəsi qeydə alınıb. İtaliyada bazar ertəsi günü daha dörd ölüm hadisəsi ilə bağlı xəbər yayılıb, bununla da bu ölkədə ölümlərin sayı yeddi nəfərə çatıb. Ümumdünya birjalarında virusun iqtisadi təsiri ilə bağlı narahatlıqlar müşahidə olunub. Çin hökuməti Covid-19-a qarşı \"səylərini davam etdirmək\" üçün gələn ay Milli Xalq Konqresinin illik toplantısını təxirə salacağını elan edib. Kommunist Partiyasının verdiyi qərarları təsdiqləyən qurum 1978-ci ildən bəri hər il görüşüb. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı ölüm faizləri ilə bağlı hələlik dəqiq məlumatın olmaması ilə bağlı xəbərdarlıq etsə də, Covid-19-dan ölən insanların nisbəti 1-2 faiz arasında olduğu deyilir. Bazar ertəsi günü İraq, Əfqanıstan, Küveyt, Oman və Bəhreyn ilk koronavirusa yoluxma hadisəsini açıqlayıblar, bu şəxslərin hamısı İrandan gələn insanlarla təmasda olub. Bəhreyn rəsmiləri xəstəliyə yoluxmuş bir şəxsin məktəb avtobus sürücüsü olduğunu və nəticədə bir neçə məktəbin bağlandığını bildiriblər. Digər fəaliyyətlər: İtaliyanın A qrupu və Avropa Liqasında keçiriləcəyi gözlənən bəzi futbol matçları virusun yayılmasının qarşısını almaq üçün bağlı qapılar arxasında keçiriləcək, İtaliyanın idman naziri deyib. Koronavirus qorxusu investorları etibarlı bir sığınacaq axtarmağa vadar etdiyi üçün qızıl yeddi ildə ən yüksək qiymətə çatıb. Cənubi Koreyanın populyar qrupu BTS fanatlardan TV şoularından uzaq durmağı xahiş edib. Şimali Koreya koronavirusun yayılması ehtimalına qarşı 380 xarici vətəndaşa karantin tətbiq edib. ÜST nə deyir? Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının rəhbəri Tedros Adhanom Ghebreyesus bazar ertəsi günü jurnalistlərə açıqlamasında İran, İtaliya və Cənubi Koreyada son günlərdə baş verən yeni halların sayının \"çox narahatedici\" olduğunu söyləyib. Bununla yanaşı, o, \"hal-hazırda bu virusun qlobal səviyyədə yayılmasının, geniş miqyaslı ağır xəstəliyin və ya ölümün şahidi deyilik\" deyib. \"Bu virusun pandemiya potensialı varmı? Təbii ki, var. Ora çatmışıqmı? Qiymətləndirməmiz göstərir ki, hələ yox\". \"Bütün ölkələrə ümid, cəsarət və inam verməli olan əsas mesaj bu virusun qarşısının alına biləcəyidir. Həqiqətən də bunu edən bir çox ölkə var,\" - cənab Tedros deyib. \"İndi pandemiya sözündən istifadə faktlara uyğun gəlmir, lakin şübhəsiz qorxuya səbəb ola bilər\". Ancaq ÜST-ün sağlamlıqla bağlı fövqəladə hallar proqramının rəhbəri Mayk Rayan \"pandemiyaya hazırlaşmaq üçün mümkün hər hər hazırlığı görməyin\" vaxtının gəldiyini söyləyib. \"\"Pandemiya\" sadəcə sözdür\" Təhlilçi James Gallagher Sağlamlıq və Elmi məsələlər üzrə müxbir Koronavirus pandemiyadırmı? Hələlik ÜST bunu istisna edir. Qurum virusun tapıldığı ölkələrin sayının, xəstəliyin şiddətinin və cəmiyyətə təsirinin pandemiya səviyyəsinə çatmadığını iddia edir. Ancaq bəzi elm adamları eyni mənzərəni qiymətləndirərək, artıq o mərhələyə çatdığımızı düşünür, bəziləri isə bu ehtimalın başımızın üstündə olduğunu söyləyirlər. Cənubi Koreyada baş verən hadisələr, İran və İtaliyada son günlər baş vermiş ölüm halları narahatlıq doğurur. Ölümlər bu iki ölkədə açıqlanmamış daha çox hadisənin olduğunu və virusun artıq bir neçə müddətdir orada mövcudluğunu göstərir. Ancaq nəticədə pandemiya sözü məhz budur - bir söz - daha çox pulun kilidini açmayacaq və ya ÜST-ə yeni səlahiyyətlər verməyəcək. Qurum artıq virusu \"qlobal bir fövqəladə vəziyyət\" elan edərək ən yüksək xəbərdarlığı verib. Virusun əsas simptomları nələrdir? İnfeksiyanın əsas əlamətləri yüksək temperatur, öskürək və nəfəs darlığıdır. Pandemiya nə deməkdir? Pandemiya yeni bir virusun bütün dünya üzrə geniş yayılması deməkdir. Minlərlə insanın ölümünə səbəb olmuş H1N1 (quş qripi) 2009-cu ildə pandemik elan edilmişdi. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı daha yayılan yoluxucu xəstəliklərə \"pandemiya\" adı vermir, lakin bu terminin \"qeyri-rəsmi\" istifadə edilə biləcəyini bildirir. İnfeksiya daha geniş yayılarkən onu məhdudlaşdırmaq üçün ölkələrə ÜST tərəfindən verilən tövsiyə eyni olaraq qalır. Ən pis təsir görən ölkələr hansılardır? Cənubi Koreya bazar ertəsi daha 231 yoluxma hadisəsi barədə məlumat verib, ümumilikdə 830 yoluxma hadisəsi və 8 nəfərin ölümü ilə Çindən sonra ikinci ən çox virus hadisəsinin qeydə alındığı ölkədir. 11 hərbçinin virusa yoluxmasından sonra, təxminən 7,700 hərbçi karantinə alınıb. Lakin ən böyük virusa yoluxanlar ölkənin cənub-şərqində Daegu şəhəri yaxınlığında bir xəstəxana və dini qrupla əlaqələndirilir. Avropada isə İtaliya bu virusa yoluxanların daha çox qeydə alındığı ölkədir. Burada yoluxanların sayı 229-dur və ölkə həftəsonu virusun daha geniş yayılmaması üçün çox ciddi addımlar atıb. Lombardiya və Veneto bölgələrində bir neçə kiçik şəhər karantinə alınıb. Növbəti iki həftə ərzində 50.000 sakin xüsusi icazə olmadan yaşadığı yeri tərk edə bilməz. Bölgədən kənarda da bir çox müəssisə və məktəb fəaliyyətini dayandırıb və idman tədbirləri ləğv edilib. Trend-in İtaliya mətbuatına istinadən verdiyi məlumata görə, bazar ertəsi elan edilən üç ölüm hadisəsinin hamısı Lombardiyada olub. Rəsmilər bildiriblər ki, virusun ölkəyə necə girdiyi hələlik məlum deyil. Çində dövlət mediası bildirib ki, hökumət vəhşi heyvanların istehlakına qadağa qoyub və qadağan olunmuş növlərin ovlanması, daşınması və ticarəti ilə mübarizə aparıldığını elan edib. Virus hadisəsinin Wuhan şəhərində vəhşi heyvan satan bir bazardan başladığı düşünülür. Yeni yoluxma hadisələrinin çoxunun Wuhanda baş verdiyi bildirilib. Rəsmi məlumatlara görə, ən çox zərər çəkən Hubei əyaləti xaric, digər yerlərdə yeni infeksiyaların sayı azalmaqda davam edir. Çində ölənlərin sayı 2663-ə çatıb. İran hökuməti bazar günü bu ölkədə 61 virusa yoluxmanı təsdiqləyib. Yoluxmanın əksəriyyəti Qum şəhərində qeydə alınıb. Bu virusa yoluxanların 12 nəfəri ölüb ki, bu da Çindən kənarda ən yüksək ölüm göstəricisidir. Bazar ertəsi Qumda bir millət vəkili təkcə bu şəhərdə 50 ölüm hadisəsinin olduğunu söyləyərək, hökuməti baş vermiş hadisəni ört-basdır etməkdə günahlandırıb. Ancaq ölkənin səhiyyə nazirinin müavini bu iddianı tez bir zamanda yalanlayıb. Azərbaycanda dövlət qurumları bildiriblər ki, ölkəyə gələn və yüksək temperaturlu şəxslər dərhal karantinə alınırlar. Amma rəsmi qurumlar hələ ki, Azərbaycanda koronavirusa yoluxma faktının qeydə alınmadığını bildiriblər. Azərbaycan İranla həmsərhəd olsa da, hələ ki, bu ölkə ilə sərhədləri bağlamayıb, amma sərhəd-keçid məntəqələrində dezinfeksiya işlərinin aparıldığını bəyan edib. Türkiyə isə İrana görə Azərbaycanla yeganə quru sərhədini, Naxçıvanla həmsərhəd olan Dilucu Gömrük Qapısını müvəqqəti bağlayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42917265", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38115905", "doc1": "একদম বাবার মতই দেখতে ছিলেন তিনি। সেজন্যে তাতে অনেকেই ডাকতেন ফিদেলিটো নামে। ফিদেল অ্যাঞ্জেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্টকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বলা হচ্ছে তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ফিদেল অ্যাঞ্জেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্ট ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রথম সন্তান। তাকে আদর করে ফিদেলিটো বা 'ছোট্ট ফিদেল' বলে ডাকা হতো, কারণ তার চেহারা সঙ্গে বাবার চেহারার অনেক মিল ছিলো। তিনি পেশায় ছিলেন একজন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট। পড়াশোনা করেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে। ফিদেলিটো ছিলেন কিউবার পরমাণু কর্মসূচীর প্রধান কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র 'গ্রানমা'র খবরে বলা হয়, গত কয়েক মাস ধরেই ফিদেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্ট তীব্র বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তাকে একদল চিকিৎসক এজন্যে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। কিন্তু গতকাল সকালে তিনি আত্মহত্যা করেন। এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে কিউবার বিপ্লবের নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো মারা যান।কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর সাধারণ কিউবানরা তা শুনে বিস্মিত হন। ক্যাস্ত্রো পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিউবায় বেশ গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তার মৃত্যুর খবর প্রচারের আগে পর্যন্ত অনেকে জানতেনই না যে তিনি মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি কিউবার সরকারের 'একাডেমি অব সায়েন্সের' একজন উপদেষ্টা ছিলেন। আরও পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী: কিউবাতে ক্ষমতায় ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮০ সাল হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি কিউবার পরমাণু কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর কিউবার এই পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ হয়ে যায়। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ডিয়াজ-বালার্টের জন্ম ১৯৪৯ সালে। কিউবার বিপ্লবের আগে সেসময়ের এক নামকরা রাজনীতিত মির্টা ডিয়াজ-বালার্টকে বিয়ে করেছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। তাদের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। সেই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম হয় ফিদেলিটোর। বাবা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ছেলে ফিদেলিটো (মাঝখানে) যখন ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে বাতিস্তা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো, তখন মির্টা ডিয়াজ-বালার্ট এবং তাদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পালিয়ে যায়। বাবা-মায়ের যখন বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখন ফিদেলিটো তার শৈশবের কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। কিন্তু ফিদেল ক্যাস্ত্রো তাকে কিউবায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। কেন ফিদেলিটোর মায়ের দিকের অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কিউবার সরকারের এত কঠোর সমালোচক, সেটার কারণ এ থেকেই বোঝা যায়। ফিদেলিটোর এক মামাতো ভাই মারিও ডিয়াজ-বালার্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সদস্য। ফিদেলিটো নিজে কিউবার বিপ্লবের প্রতি এবং তার বাবার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাবান ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নাকি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন। বিশেষ করে কিউবার জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যেভাবে তার মতামতকে আর আমলে নেয়া হচ্ছিল না, সে কারণে। হিলটন হোটেল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটন হাভানায় এক অনুষ্ঠানে ফিদেলিটোর সঙ্গে সেলফি তুলছেন। তার এক সাবেক সহকর্মী জোনাথান বেনজামিন আলভারাডো রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফিদেলিটো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে যেসব পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছিলেন, সেগুলো কিউবার রাষ্ট্রীয় নীতিতে সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছিল না। সেজন্যেই হয়তো ফিদেলিটো কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ফিদেলিটোর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন তার পরিবারই করবেন, তবে এর বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ২০১৬ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান।", "doc2": "Matəm 4 dekabra kimi davam edəcək Bayraqlar yarıya qədər endirilib və doqquz günlük matəm elan edilib. Bazar ertəsi insanlar 90 yaşlı liderin külünun, onun hakimiyyət üçün mübarizəyə başladığı Santiago de Cuba şəhərinə aparmazdan öncə başsağlığı verəcək. Bəzi dünya liderləri XX əsrin simvoluna başsağlığı verib. Lakin ABŞ-ın yeni seçilmiş prezidenti Donald Trump Castro-nu \"qəddar diktator\" adlandırıb. Castro 1959-ci ildə kommunist inqilabı nəticəsində hakimiyyətə gəlib və onilliklər ərzində ABŞ-a meydan oxuyub. Onun tərəfdarları ona Soyuq Müharibə zamanı Amerikaya qarşı dayanan və Kubanı xalqına qaytaran adam kimi baxır. Onun tənqidçiləri isə onu diktator adlandırır. Bayraqlar yarıyadək endirilib Kuba hakimiyyəti ölkənin sabiq rəhbəri Fidel Castronun ölümü ilə bağlı matəm elan edib. Rəsmi yas mərasimləri dekabrın 4-dək davam edəcək. Az qala 50 il ərzində Kubanı idarə edən Fidel Castro-nun ölümü barədə xəbəri onun qardaşı, hazırkı prezident Raul Castro elan edib. \"Kuba İnqilabının Baş komandanı bu axşam saat 22:29-da ( 03:29 GMT - 07:29 BV ) vəfat edib\", dövlət televiziyasının yayımında Raul Castro deyib. Reaksiya Fidel Castro Kubanı az qala 50 il ərzində idarə edib Bır sıra dövlət və hökumət rəhbərləri Fidel Castronun ölümü ilə bağlı Kuba xalqı və hökumətinə başsağlığı verib. Onların arasında Azərbaycan prezidenti də var. \"Bu ağır itki ilə əlaqədar Sizə, ailənizin bütün üzvlərinə, dost Kuba xalqına öz adımdan və Azərbaycan xalqı adından dərin hüznlə başsağlığı verirəm\", - prezident İlham Əliyevin Raul Castroya ünvanladığı məktubda deyilir. Bir çox siyasi və ictimai xadim Castronun vəfatı ilə bağlı xəbərdən kədərləndiyini bildirir. Bu arada ABŞ-ın Miami ştatındakı kubalıların icmasında bu xəbər alqışla qarşılanıb. BBC müxbirinin xəbərində deyilir ki, Kubadan gələnlər arasında Fidel Castroya qarşı mənfi münasibət mövcuddur. Bu fikirdə olan sakinlər sabiq prezidentin ölümündən sonra dəyişikliklər gözləyirlər, Luis Fajardon ABŞ-dan göndərdiyi xəbərdə deyilir. İnternetdəki videolarda sevinən insanların bir araya gəldiyini görmək olar. Əllərində Kuba bayraqlarını dalğalandıran adamlar yan keçən maşınların siqnallarına gülür və əl edirlər. Uzunömürlü rəhbər 50 il ərzində hakimiyyət başında olan Fidel Castro 2008-ci ildə səlahiyyətlərini qardaşı Raul Castroya ötürdükdən sonra istefaya çıxıb. Bundan iki il əvvəl o, ölkənin idarəçiliyində demək olar ki, artıq iştirak etmirdi. 2013-cü ildə cənab Castro istefa barədə qərarını ölümcül xəstəliklə əlaqələndirib. Fidel Castro sonuncu dəfə ictimaiyyət qarşısına avqust ayında 90 illik yubileyi münasibətilə təşkil olunmuş tədbir vaxtı çıxıb. Kuba inqilabının lideri vəfatından sonra kremasiya olunmaq istədiyini deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56601841", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/trending-38651406", "doc1": "মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মূলধারার মিডিয়াকে পাশ কাটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই তার কথা বলতেন বেশি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে জানুয়ারি মাসে মি. ট্রাম্পের সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পর সামাজিক মাধ্যমের বিশাল প্রতিষ্ঠান ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফক্স নিউজ চ্যানেলের নতুন সংবাদকর্মী লারা ট্রাম্প বেশ কিছু বিষয়ে মি. ট্রাম্পের যে সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন, সেটি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এরপর ফেসবুক তাকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে যে ইমেল পাঠায় সেটির ছবি তুলে লারা সেটিও পোস্ট করেন। ''ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠে কোন কিছু এইসব প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা হলে তা সরিয়ে ফেলা হবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের কার্যকলাপ এই অ্যাকাউন্টের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা জারি করবে,\" লেখা হয়েছে ফেসবুক থেকে ''ক্যাটেলিন'' নামের একজনের কাছ থেকে আসা একটি ইমেলে। আরও পড়তে পারেন: মি. ট্রাম্পের পুত্র এরিকের স্ত্রী লারা ট্রাম্প, এর পর ভিডিও প্ল্যাটফর্ম রাম্বল-এ তার নিজস্ব অনলাইন শো 'দ্য রাইট ভিউ'তে তার এই সাক্ষাতকারটি পোস্ট করেন এবং তার ফেসবুক পেজে রাম্বল-এর লিংক জুড়ে দেন। \"আর এভাবেই আমরা জর্জ অরওয়েলের নাইনটিন এইটি ফোর-এর কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছি। দারুণ!'' তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করেন লারা ট্রাম্প। ইংরেজ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের সামাজিক পটভূমিতে লেখা বিখ্যাত উপন্যাস নাইনটিন এইটি ফোর-এর বিষয়বস্তু ছিল সমাজের ওপর একনায়কতন্ত্র, রাষ্ট্রের গণ নজরদারি এবং সরকারি প্রচারণার যাঁতাকলের প্রভাব। দীর্ঘদিন ট্রাম্পের সমর্থক এবং ফক্স টিভি নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি এক টুইট বার্তায় এই পদক্ষেপকে \"চরম সেন্সরশিপ'' বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ: গুগল, ফেসবুক, টুইটার কতটা ক্ষমতাধর? ক্যাপিটলে দাঙ্গার এক দিন পর ৭ই জানুয়ারি ফেসবুক মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এধরনের অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত কন্টেন্ট বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্তর বিষয়ে বিধান দেবার জন্য ফেসবুকের একটি নবগঠিত বোর্ড এখন মি. ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। সেসময় এই সিদ্ধান্তের পক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকের প্রধান মার্ক যাকারবার্গ বলেছিলেন: ''বর্তমান সময় প্রেসিডেন্টকে আমাদের সেবা ব্যবহার করতে দেয়ার ঝুঁকি এককথায় খুবই বেশি বলে আমরা মনে করছি।\" টুইটার এবং ইউটিউবও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।", "doc2": "Brighton şəhərindən olan və elektron məsləhətçi işləyən Ivanka Majic bildirib ki, o və əri səhər saat 6-da mediadan gələn zənglərə oyanıblar. Onlar Majic-ə bildiriblər ki, 20 milyon istifadəçisi olan Donald Trump onu tərifləyib. Başqa bir Twitter istifadəçisindən sitat gətirərək qızını tərifləmək istəyən cənab Trump, yanlış istifadəçi adını seçərək təq edib. Donald Trump: \"@drgoodspine: @realDonaldTrump @Ivanka Trump böyükdür, əsil xarakteri olan qadındır\". İstifadəçilər dərhal yanlışlığı sezərək onu diqqətə çatdırıblar və Majic cavabını verib: Ivanka Majic cavabında: @realDonaldTrump @drgoodspine - siz böyük cavabdehlikləri olan şəxssiniz. Twitter-də daha diqqətli olmağınızı və #iqlimdəyişikliyinə daha çox vaxt ayırmağınızı təklif edirəm. Keçmişdə Leyboristlər Partiyası ilə əməkdaşlıq etmiş Majic bildirib ki, baş verənlərdən xəbər agentliyinin onun həyat yoldaşına mesaj göndərməsindən sonra xəbər tutub. \"Telefonumu yoxlamaq üçün aşağı düşdüm və çoxlu bildirişlərin gəldiyini gördüm\", o BBC-ə bildirib. \"Gününün 45 dəqiqəsini İTV və BBC-ə danışmaq çox qəribə haldır\". Majic deyir ki, o, Twitter-də Macarıstanın Ivanka Concrete şirkətilə də səhv salınır. Majic-in istifadəçi adı @Ivanka-dır, İvanka Trump-ın isə @IvankaTrump. O deyib ki, keçən il dəfələrlə Donal Trump-ın qızı ilə səhv salınıb, lakin bu yanlışlıqlar heç vaxt bu miqyasda olmayıb. Bu arada isə, görünür Twitter qalmaqalından xəbərsiz olan İvanka Trump öz fotosunu paylaşıb \"Seçki vaxtı Twitter-də səhvən məni qeyd edənləri Hillary-ə [Clinton] səs verməyə səsləyirdim\". \"İvanka çox darıxdırıcı və populyar slavyan qız adıdır. Məni həm də Macarıstanın sement şirkəti olan İvanka concrete ilə də səhv salırlar\", o əlavə edib. \"Hələ də istifadəçi adımı dəyişdirməklə bağlı qərar verməmişəm. Twitter-dən elə də çox istifadə etmirəm. Yanlışlıqlara görə normal insanlardan gələn tvitlər yoxa çıxır\". \"Mən 2007-ci ildən bəri Twitter-dən istifadə edirəm. Bu hesabı açarkən heç ağlıma da gəlməzdi ki, İvanka Trump-ın atası bir gün prezident seçiləcək\". Patrick Evans, UGC and Social News"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-38880628", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-38903598", "doc1": "মার্কিন বিচার ব্যবস্থার ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি বলেছেন 'যুক্তরাষ্ট্রে যদি কোনও কিছু ঘটে' তাহলে বিচারকরাই দায়ী থাকবে এবং আমেরিকানদের উচিত হবে এ ব্যবস্থাকে দোষারোপ করা। মি: ট্রাম্প আরও বলেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের 'অত্যন্ত সতর্কভাবে' তল্লাশির জন্য সীমান্তের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে মি: ট্রাম্প একের পর এক আইনি বাধার মুখে পড়ছেন। দেশটির একটি ফেডারেল আদালত সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। তার বিরুদ্ধে আবারও মি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আপিল করা হলে তা-ও খারিজ করে দেয় দেশটির একটি আদালত। বিচার বিভাগের সাথে এমন মুখোমুখি অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারক ও বিচারব্যবস্থার প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টুইটারে। কয়েক দফা টুইটে মি: ট্রাম্প বলেছেন \"যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে বলেছি আমাদের দেশে যেসব লোক আসছে তাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে। এই কাজটিকে আদালতগুলো খুব কঠিন করে দিচ্ছে!\" আরও পড়তে পারেন: সীমান্তে 'সতর্ক' তল্লাশির আহ্বান জানালেন ট্রাম্প ট্রাম্পের আপিল খারিজ করে দিলো আদালত ‘২৪ ঘন্টা খাবার ছাড়া কখনও ছিলেন?’ ট্রাম্পকে প্রশ্ন আমেরিকা যেতে পারছেন ৭ মুসলিম দেশের যাত্রীরা আটলান্টা এয়ারপোর্টে সিবিপি অফিসার \"বিশ্বাস করতে পারছি না একজন বিচারক আমাদের দেশকে এভাবে বিপদের ঝুঁকিতে ঠেলে দিতে পারেন। যদি কিছু ঘটে যায় তাহলে তাকে এবং বিচার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করতে হবে\"। যদি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু হয় তাহলে, বিচারকেরা এবং দেশের বিচার ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী থাকবে। রোববার আদালত আপিলের ওপরে স্থগিতাদেশ দেয়ার ফলে, ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সোমালিয়া, সুদান, লিবিয়া ও ইয়েমেনের বৈধ ভিসা-ধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে আদালত আপিল খারিজ করে দিলেও হোয়াইট হাউজ এবং আইনজীবীদের আরও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে। আরও পড়ুন: মৃত্যুর অনুমতি চাওয়া পরিবারটির পাশে ভারত- চীন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীর কানে আটকা পড়েছিল অজগর যুক্তরাজ্যে সবার জন্য খুলে দেয়া হয় দেড়'শ মসজিদ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত", "doc2": "Donald Trump səyahət qadağası ilə bağlı sərəncamı yanvarın 25-də imzalayıb Prezidentin sərəncamı əhalisinin çoxu müsəlman olan 7 ölkədən qaçqın və qonaqların ABŞ-a girişini müvəqqəti olaraq dayandırıb. 3 hakimdən ibarət məhkəmə heyəti səyahət qadağasının müsəlmanlara qarşı ayrı-seçkilik olub-olmamasını sorğulayıb. Hakimlər prezidentin öz səlahiyyətlərini aşıb-aşmaması ilə bağlı sualları nəzərdən keçiriblər. Onlar həmçinin qadağa tətbiq edilən 7 ölkənin terorçuluqla əlaqələrinə dair cənab Trump-ın nə kimi dəlillərə malik olduğunu sual edirlər. Ötən həftə Seattle şəhərinin məhkəməsi prezident Donald Trump-ın sərəncamının icrasını müvəqqəti dayandıran hökm çıxarıb. Məhkəmənin qarşısında qadağaya qarşı etiraz aksiyası Apellyasiya Trump administrasiyası bu qərara qarşı apellyasiya verib. Çərşənbə axşamı günü məhkəmə bir saat ərzində tərəflərin şifahi çıxışlarını dinləyib. Hakim Richard Clifton sual edib ki, sərəncamın dünya müsəlmanlarının yalnız 15 faizinə təsir etməsi ayrı-seçkilik sayıla bilərmi. O, San Fransiskoda apellyasiya məhkəməsində məsələ ilə bağlı qərar çıxaracaq üç hakimdən biridir. Məhkəmənin yekun hökmündən asılı olmayaraq, çox güman ki, məsələ Ali Məhkəmədə nəticələnəcək. Ədliyyə Departamenti müraciət edərək, hakimləri qadağa qərarının bərpa edilməsinə çağırıb. Vəkil August Flentje deyib ki, konqres prezidentə ölkəyə girişlə bağlı məsələlərin tənzimləməsinə dair səlahiyyətlər verib. Məhkəmədə səyahət qadağası şamil edilən yeddi ölkə, yəni İran, İraq, Liviya, Somali, Sudan, Suriya və Yəmənin ABŞ-a olan təhlükə riski barədə sübut tələb edilib. Dəlillər Buna cavab olaraq vəkil bildirib ki, Amerikadakı bir sıra Somali vətəndaşları əl-Şəbab qrupuna qoşulub. Sonra Washington ştatını təmsil edən vəkil məhkəməyə deyib ki, sərəncamın icrasının dayandırılması ABŞ hökumətinə ziyan verməyib. ABŞ Ədliyyə Departamentinin bazar ertəsi yayımladığı 15 səhifəlik xülasədə qeyd edilib ki, sərəncam \"dinə münasibətdə neytraldır\". Seçki kampaniyası zamanı ABŞ-a gələnlərə məhdudiyyətlər qoyacağı barədə vəd vermiş Donald Trump səyahət qadağası ilə bağlı sərəncamı yanvarın 25-də imzalayıb. Geniş şəkildə tənqid edilən sərəncam qüvvəyə minəndən sonra ABŞ və xarici hava limanlarında qarışıqlıq yaranıb. Qərarın həyata keçirilməsi Seattle-da fevralın 4-də federal hakim tərəfindən təxirə salınıb. Nəticədə, qadağanın aid edildiyi İran, İraq, Liviya, Somali, Sudan, Suriya və Yəməndən olan etibarlı viza sahibləri yenidən Amerikaya səyahət edə biliblər. Cənab Trump isə səyahət qadağasını məhdudlaşdıran hakimi tənqid edib və bildirib ki, \"əgər nəsə baş verərsə\" amerikalılar məhkəmələri günahkar saymalıdırlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46343943", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/analysis-46364770", "doc1": "সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ জন নারী তাদের সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হচ্ছেন। জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তর তাদের এক গবেষণায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। তারা বলছে, এসব তথ্য থেকে বোঝা যায় \"নারীরা যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতেই তাদের নিহত হওয়ার ঝুঁকি হয়তো অনেক বেশি।\" গবেষণায় বলা হয়, গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে ৮৭,০০০ নারী নিহত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছেন তাদেরই ঘনিষ্ঠ লোকজনের হাতে। জাতিসংঘের এই পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৩০,০০০ নারী নিহত হয়েছেন তাদের খুব কাছের সঙ্গী বা পার্টনার এবং বাকি ২০,০০০ মারা গেছেন তাদেরই কোন না কোন একজন আত্মীয়ের হাতে। আরো পড়তে পারেন: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের রাস্তায় হেনস্থার শিকার হলে কী করবেন? নিপীড়ক সঙ্গী চিনবেন যেভাবে জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তরের সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের হিসেবে পুরুষের খুন হওয়ার হার নারীর তুলনায় চারগুণ বেশি। তারা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি ১০টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে আটজনই পুরুষ যারা অন্যের হাতে খুন হচ্ছেন। তবে এই একই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘনিষ্ঠ কোন পুরুষ সঙ্গী বা পার্টনারের হাতে খুন হওয়া প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে আটজনেরও বেশি নারী। রিপোর্ট বলছে, \"ঘনিষ্ঠ পার্টনারের সহিংসতার কারণে প্রচুর সংখ্যক নারীকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।\" ৪৭ জন নারী, ২১টি দেশ, একদিন সরকারি সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ। ২০১৮ সালের ১লা অক্টোবর সারা বিশ্বে যতো নারী অন্য একজনের হাতে নিহত হয়েছেন - সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সেসব খবরের ওপর বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। তাতে দেখা গেছে, ২১টি দেশে ৪৭ জন নারী নারী-পুরুষ সংক্রান্ত কারণে নিহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে। এখানে এরকম কিছু হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হলো। এসব খবর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং পরে বিবিসি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এসব খবর যাচাই করে দেখেছে। জুডিথ চেসাং, ২২, কেনিয়া জুডিথ চেসাং এবং তার বোন ন্যান্সি ১লা অক্টোবর সোমবার জমি থেকে তাদের ফসল তুলছিলেন। তিন সন্তানের মা জুডিথ, সম্প্রতি তিনি তার স্বামী লাবান কামুরেনের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাবা মায়ের গ্রামে কাছে ফিরে যাওয়ার। দুই বোন যখন জমিতে কাজ করছিলেন, তখনই তিনি সেখানে এসে হাজির হন এবং জুডিথের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারপর গ্রামবাসীরা তাকেও হত্যা করেছে। নেহা শারদ চৌধুরী, ১৮, ভারত নেহা শারদ চৌধুরী তার ১৮তম জন্মদিনে নিহত হন। সন্দেহ করা হচ্ছে, পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে তার প্রেমিকের সাথে তার জন্মদিন উদযাপন করছিল। পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে যে তার পিতামাতা এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। সেদিন সন্ধ্যায় নেহা তাদের বাড়িতে নিহত হন এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্যে তার পিতামাতা এবং আরো একজন পুরুষ আত্মীয়কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের এখনও তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত তিনজনই এখন কারাগারে এবং বিচারের অপেক্ষায়। অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে যে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করবেন। পরিবারের ইচ্ছের বাইরে প্রেমে পড়া ও বিয়ে করার কারণে প্রত্যেক বছর কয়েকশো মানুষ নিহত হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা কতো সেবিষয়ে সরকারি তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ এধরনের হত্যকাণ্ডের ঘটনা পুলিশের কাছে খুব কমই রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। জয়নব সেকানভান, ২৪, ইরান স্বামীকে হত্যা করার কারণে ইরানি কর্তৃপক্ষ জয়নব সেকানভানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। কুর্দী অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি দরিদ্র ও রক্ষণশীল পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। উন্নত জীবনের সন্ধানে একজনকে বিয়ে করার স্বপ্ন নিয়ে কিশোর বয়সেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তার স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। তাকে তালাকও দিতে চাইতো না। পুলিশের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তাকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বামীকে খুন করার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৭। তার সমর্থক এবং অ্যামনেস্টি বলছে, স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগের বিষয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব নারী তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে হত্যা করেন তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সান্দ্রা লুসিয়া হামার মোওরা, ৩৯, ব্রাজিল সান্দ্রা লুসিয়া হামার মোওরা তার ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন আউগোস্ত অ্যাগুয়ের রিবেইরুকে। তারা পাঁচ মাস ধরে আলাদা ছিলেন। তখন তার স্বামী তাকে হত্যা করে। স্থানীয় পুলিশ বিবিসির কাছে নিশ্চিত করেছে যে তার ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পরে তারা তার স্বামীর মোবাইল ফোনে করা একটি ভিডিও উদ্ধার করেছেন যেখানে তাকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে তিনি বলছেন, তার স্ত্রী সান্দ্রা অন্য একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। সান্দ্রা তার সাথে প্রতারণা করেছে। পরে অবশ্য ওই স্বামী তাদের শোওয়ার ঘরে আত্মহত্যা করেছেন। ম্যারি এমিলি ভালাত, ৩৬, ফ্রান্স ম্যারি এমিলিকে তার স্বামী সেবাস্টিয়ান ভালাত ছুরি মেরে হত্যা করেছে। বিয়ের চার বছর পর থেকেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামী পরে পুলিশের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তার কয়েকদিন পর স্বামী নিজেও কারাগারের ভেতরে আত্মহত্যা করেছেন। আরো পড়তে পারেন: রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় ট্রাম্পকে টুইটারে জ্ঞান দিয়ে ভাইরাল আসামের তরুণী ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে", "doc2": "Məlumatda deyilir ki, \"qadının öldürülməsi ehtimalı ən yüksək olan yer onun yaşadığı evidir\". 2017-ci ildə 87,000 qadın qətlə yetirilib. Onlardan yarıdan çoxu yaxınları tərəfindən öldürülüb: təxminən 30 min qadın partnyoru, daha 20 min qadın isə qohumu tərəfindən öldürülüb. Öldürülən kişilərin sayı hələ daha çoxdur, lakin... UNODC-in topladığı məlumatlar göstərir ki, \"qəsdən adam öldürmə nəticəsində həyatlarını itirən kişilərin sayı qadınlardan 4 dəfə çoxdur\" Hesabatda qeyd olunub ki, qəsdən adam öldürmə hallarının hər 10 qurbanından 8-i kişidir. Eyni zamanda deyilir ki, intim partnyorun əlindən ölənlərin hər 10 qurbanından 8-i qadındır. Bir gündə 21 ölkədə 47 qadın BBC 100 Qadın layihəsi və BBC Monitorinq statistik rəqəmlər arxasında duran qadınlar barədə daha çox məlumat əldə etmək qərarına gəlib. Biz, bir gün ərzində - 2018-ci ilin oktyabrın 1-də - dünya boyu başqa şəxs tərəfindən öldürülən qadınlar barədə mediada işıqlandırılan xəbərləri araşdırdıq. Regional mütəxəssislərimiz xəbərlərdə əksini tapmış 21 ölkədə gender səciyyəli səbəblər zəminində 47 qadının öldürülməsi hadisəsini aşkar ediblər. Bu qətllərin əksəriyyəti hələ də araşdırılır. Aşağıda göstərilən həmin hadisələrdən beşi yerli KİV-lərdə işıqlandırılıb və BBC-nin müraciət etdiyi yerli rəsmilər tərəfindən yoxlanılıb. Judith Chesang, 22 yaş, Keniya Bazar ertəsi, oktyabrın 1-də Judith Chesang bacısı Nancy ilə ailələrinə məxsus fermada tarlaya məhsul yığmağa yollanırlar. Üç uşaq anası Judith, bir müddət əvvəl əri Laban Kamuren-dən ayrılaraq valideynlərinin evinə qayıtmışdı. Bacılar tarlada işə başlayandan sonra Laban fermaya gəlib Judith-ə hücum çəkir və onu öldürür. Yerli polisin bildirdiyinə görə, həmin hadisədən sonra kəndlilər kişini öldürüb. BMT hesabatına görə Afrika qadınların intim partnyoru və ailə üzvü tərəfindən öldürülməsi riski ən yüksək olan bir yerdir: hər 100 min adama 3.1 ölüm hadisəsi təsadüf edir. 2017-ci ildə Asiyada intim partnyor və ya ailə üzvü tərəfindən ən çox sayda qadın öldürülüb - 20000-ə yaxın qadın. Neha Şarad Çaudury, 18 yaş, Hindistan Neha Sharad Chaudury, 18 yaşı tamam olanda \"namus üstündə\" öldürülüb. O, sevgilisi ilə ad gününü qeyd edirdi. Polis BBC-yə təsdiq edib ki, qızın valideynləri onların münasibətinə icazə verməyiblər. Onun valideynləri və başqa bir kişi qohumu onu evdə öldürməkdə ittiham olunurlar. İstintaq davam edir və üçlük məhkəməyədək məhkəmə nəzarəti altında qalmaqdadır. BBC Nehanın valideynləri və onun qohumunu təmsil edən vəkildən öyrənib ki, onlar ittihamları rədd etmək niyyətindədirlər. Hər il yüzlərlə adam sevdiklərinə və ya ailələrinin iradəsinə zidd olaraq evləndiklərinə görə öldürülürlər. \"Namus üstündə\" deyilən qətllərə dair rəsmi məlumat əldə etmək çətindir, çünkki belə hadisələr çox vaxt işıqlandırılmır və qeydə almır. Zeynəb Sekaanvan, 24, İran Zeynəb Sekaanvan, ərini öldürdüyünə görə İran rəsmiləri tərəfindən edam olunub. Zeynəb İranın şimal-qərbində kürd mənşəli, yoxsul mühafizəkar bir ailədə doğulub. O, daha yaxşı həyat tapmaq ümidilə yeniyetmə yaşında evlənmək üçün qaçıb. Amnesty International deyir ki, onun əri əsəbi olub və ondan boşanmağa razılıq verməyib, Zeynəbin şikayətlərinə isə polis etinasız yanaşıb. O, ərini öldürdüyünə görə 17 yaşında həbs olunub. Amnesty təşkilatı da daxil, onu dəstəkləyənlər bildiriblər ki, ərinin öldürülməsini boynuna almaq üçün ona işgəncə verilib, o, polis tərəfindən döyülüb və onun işinə məhkəmədə ədalətli baxış keçirilməyib. UNODC hesabatında qeyd olunur ki, intim partnyorlarını öldürən qadınlar çox vaxt \"uzunmüddətli fiziki zorakılığa məruz qalırlar\". Qətlləri törədən kişilərin motivasiyası kimi isə \"qadına öz mülkü kimi yanaşma, qısqanclıq və atılmaq qorxusu\" hissləri olub, hesabatda göstərilib. Görünür, bu cür hisslər Zeynəbin öldürüldüyü gün Braziliyada uzun illərin cütlüyünün ölü tapılmasına səbəb olub. Sandra Lucia Hammer Moura, 39 yaş, Braziliya Sandra Lucia Hammer Moura 16 yaşında Augusto Aguiar Ribeiro ilə evlənib. Ər arvadını öldürəndə onlar artıq beş ay idi ki, ayrı yaşayırdılar. Polis BBC-yə təsdiqləyib ki, qadın boğularaq bıçaqlandığına görə ölüb. Polisin kişinin mobil telefonunu ələ keçirib. Orada o, arvadını öldürdüyünü etiraf edib. O deyib ki, arvadı Sandra başqa kişilə görüşür və o, özünü arvadı tərəfindən satılmış kimi hiss edir. Kişi sonra özünü yataq otağında asıb. Sandra-nın əhvalatı \"qətl-intihar\" kimi məlum olan hallara aid edilir - fərd intihar etməkdən əvvəl başqalarını da öldürür. BBC Monitoring oktyabrın 1-də Latın Amerikasında 14 qadın qətli hadisəsi aşkar edib. Onlardan ikisi Salvadorda baş verib. Salvador rəsmiləri BBC-yə bildiriblər ki, 2018-ci ildə bu günədək azı 300 qadın öldürülüb. Marie-Amélie Vaillat, 36 yaş, Fransa Marie-Amélie əri Sébastien Vaillat tərəfindən bıçaqlanıb. O, polisə təslim olub və bir neçə gündən sonra həbsxanada özünü öldürüb. Sakinlər Marie-Amélie Vaillat-ın bıcaqlandığı dükanının önündə gül əklilləri qoyub və onun xatirəsinə yürüş təşkil ediblər. Marie-Amélie Vaillat-in xatirəsinə yürüş keçirilib Bütün şəkillər müəlliflik hüququ ilə qorunur 100 Qadın layihəsi BBC-nin 100 Qadın layihəsi hər il dünya boyu 100 ən ilhamverici və nüfuzlu qadını seçir və onların həyat hekayəsini paylaşır. 2018-ci il qadın hüquqları üçün mühüm il olduğundan, BBC-nin 2018-ci il üçün 100 Qadın layihəsində ehtiras, qəzəb və hiddətdən güc alaraq yaşadıqları mühitdə gerçək dəyişikliklərə nail olan öncül qadınlar yer alıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53527726", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/vert-fut-47741304", "doc1": "জুম্মার নামাজে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং তুর্কী মন্ত্রিসভার ক'জন সদস্য। এর আগে গত ১০ই জুলাই এক তুর্কী আদালত সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়নি বলে রায় দেয় এবং এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার একে মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে আদেশ জারি করে। দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থোডক্স গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। বিশ্বের নানা দেশ থেকে এই ভবনটিকে মসজিদে রূপান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজের আগে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বহু মুসল্লি মসজিদের বাইরে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। আরো পড়তে পারেন: ৮৬ বছর পর ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়ায় শোনা গেল আজান ধ্বনি তুরস্কের হাইয়া সোফিয়ায় নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্কের কারণ কী? তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী বলছেন, হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরে এক হাজার মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারবেন। কিন্তু এর আগেই হাজার হাজার মানুষ মসজিদটির আশেপাশে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বসে পড়েন। প্রথম দিনের জামাতে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সাথে সামিল হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান। তুর্কী ধর্মমন্ত্রী আলী এরবাস জানিয়েছেন, নতুন মসজিদের জন্য তিন জন ইমামকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেহমেত বয়নুকালিন ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী আইন বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী এরলিকায়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলার স্বার্থে জুম্মার নামাজের মুসল্লিদের 'ফেসমাস্ক, জায়নামাজ, ধৈর্য এবং সহানুভূতি' নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করার পরামর্শ দেন। সাহায্যের জন্য মসজিদ ও তার আশেপাশে স্বাস্থ্য কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলে তিনি জানান। প্রথম জুম্মাকে কেন্দ্র করে হাইয়া সোফিয়া মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাইয়া সোফিয়ায় প্রথম জুম্মার দিনের ভিডিও (সৌজন্যে বিবিসি তুর্কী বিভাগ): হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাস: হাইয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন। হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরের দৃশ্য।", "doc2": "Ayasofya siyasi və dini simvol kimi böyük əhəmiyyətə malikdir. Bundan əvvəl Türkiyənin ən yüksək inzibati məhkəməsi dünyaca məşhur mədəniyyət ocağının muzey statusunu ləğv edib. 1500 illik tarixi olan, YUNESCO-nun Dünya İrsi siyahısına daxil edilmiş Ayasofya binası tikildikdən sonra, öncə kilsə, İstanbulun fəthindən sonra məscid, 1930-cu illərdən sonra isə muzey kimi fəaliyyət göstərib. Ayasofyanın yenidən məscid kimi fəaliyyət göstərməsi təklifini Türkiyə Prezidenti Recep Tayyip Erdoğan ötən il seçki vaxtı vermişdi. YUNESCO Türkiyəni müzakirə etmədən muzeyin statusunu dəyişdirməməyə çağırıb. Türkiyədəki islamçılar binanın məscid kimi istifadəsini xeyli vaxtdır ki, istəyirdilər. Lakin dünyəvi müxalifət üzvləri buna qarşı çıxıblar. Bu məsələ dünya miqyasında dini və siyasi liderlərin beynəlxalq tənqidinə səbəb olub. Şərq Pravoslav Kilsəsinin başçısı muzeyin məscidə çevrilməsi məsələsini qınayıb. Bu məsələni həm də milyonlarla pravoslavın yaşadığı Yunanıstan da qınayıb. Ayasofyada Fəth surəsinin oxunması narazılıq doğurmuşdu Bu il mayın 29-da İstanbulun fəthinin 567-ci illiyi münasibətilə Ayasofyada Fəth surəsi oxunub. Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğan Fəthin 567-ci ildönümününü Ayasoyfada \"Fəth surəsini oxumaq və dualar etməklə qeyd etməyin çox önəmli\" olduğunu bildirib. Yunanıstan sözügedən tədbiri tənqid edib. Ölkənin Xarici İşlər Nazirliyi Ayasofyada Quran ayələrinin oxunmasının \"xristianların dini hislərinə təhqir mənasına gəldiyini\" bildirib. \"Türkiyə Cümhuriyyətində azanın və ya Quran-ı Kərimin harada oxunmalı olduğunu başqa birinə soruşmalıyıq? Türkiyəyə bu mövzuda ağıl verəcək son ölkə Yunanıstandır. Avropada məscid olmayan yeganə paytaxt Afinadır. Ayasofya, Türkiyə Respublikası mülkidir və fəth edilib\", Türkiyənin xarici işlər naziri Mevlüt Çavuşoğlu isə buna cavab olaraq bildirib. Ayasofya Türkiyədə tez-tez müxtəlif tədbirlər və şərhlərlə gündəmə gələn və mübahisə yaradan mövzulardan biridir. Xristianlar tərəfindən müqəddəs hesab olunan Ayasofyanın müsəlmanlar üçün ibadətə açılacağına dair şərhlər tənqidlərə səbəb olur. Ayasofya niyə mübahisəli və önəmli bir yerdir? Ayasofyanın tarixi Ayasofyanı Bizans imperatoru Konstantin tikdirib, 360-cı ildə kilsənin açılışını edib. 404-cü ildə taxta damı yanıb, geniş miqyaslı təmir işləri aparılıb. 532-537-ci illər aralığında Bizans imperatorun I Justianın əmriylə aparılan inşaat işlərindən sonra indiki halına gəlib. Yepiskopluğun mərkəzi olan və Bizans imperatorluğunun böyük önəm verdiyi kilsəni bizanslı mühəndis Miletus İsidor və riyaziyyatçı Tralles Anthemius inşa ediblər, tikintidə 10 mindən çox adam iştirak edib. Tikintisi 5 il 10 ay çəkən kilsəni Bizans tarixçiləri dünyanın ən böyük tikilisi adlandırıblar. Kilsənin içindəki mozaiklər 565-578-ci illər aralığında tamamlanıb. 1204-cü ilə qədər müxtəlif zəlzələ və yanğınlardan ziyan görən kilsə dəfələrlə yenidən inşa edilib. 1204-cü ildəki səlib yürüşü zamanı xaçlıların əlinə keçib və 1261-ci ilə qədər Roma Katolik Kilsəsi adlandırılıb. 1261-ci ildə bizanslılar Konstantinopolu yenidən ələ keçiriblər və Ayasofya təkrar Pravoslav kilsəsi olaraq istifadə edilməyə başlanıb. Osmanlının İstanbuldakı ilk məscidi Osmanlı padşahı Fatih Sultan Mehmet 26 may 1453-cü ildə Konstantinopolu ələ keçirəndə Ayasofya yaralı Bizans əskərlərinin, qadın və uşaqların sığınma yeri olub. Sonrakı bir neçə gün Pravoslav kilsəsi mənsubları Ayasofyada ibadətə davam ediblər. 1 iyun 1453-cü ildə Fatih Sultan Mehmet orda cümə namazı qılıb, Osmanlı idarəçiliyində Ayasofyanın məscid olaraq istifadə ediləcəyini bildirib. Mehrab və minbər inşa edilib, kilsə zəngi və xaç götürülüb, mozaiklərin üstü örtülüb. 1481-ci ildə ilk minarəsi tikilib. Fatih Sultan Mehmetdən sonra taxta keçən Sultan II Bəyazidin vaxtında daha bir minarə tikilib. 1509-cu ildəki böyük İstanbul zəlzələsində ilk minarəsi dağılıb, yerində kərpicdən yenisi tikilib. Digər iki minarə Sultan II Səlimin zamanında, memar Sinanın məsciddə apardığı yenilənmə işləri çərçivəsində inşa edilib. Müxtəlif zamanlarda tikildikləri üçün Ayasofyanın 4 minarəsi bir-birindən fərqlənir. II Səlimin türbəsi Ayasofyadakı ilk padşah türbəsidir. Məsciddə padşahlara, onların arvadlarına və şahzadələrə aid 43 türbə var. Aralarında Sultan III Murad, Sultan III Mehmet, Safiyə Sultan və Nurbanu Sultanın da məzarları var. Sultan Əhməd 1611-cı ildə Əhməd Məscidini inşa etdirənə qədər Ayasofya Osmanlı dövlətinin ən böyük və ən önəmli məscidi olub. 1739-cu ildə məscidə mədrəsə, kitabxana və mətbəx əlavə edilib. 1847-1849-cu illər aralığındakı yenilənmə işləri zamanı qapadılan Ayasofya məscid olaraq sonuncu dəfə 1849-cu ildə istifadəyə verilib. Ayasofya dəfələrlə təmir edildi Cümhuriyyət dönəmində 1931-ci ilə qədər məscid olaraq qalıb 1923-cü ildə cümhuriyyət elan edildikdən sonra məscid olaraq istifadə edilməyə davam edilsə də, 1931-ci ildə qapadılıb. 1931-ci ildə Amerika Bizans İnstitutunun qurucusu arxeoloq Thomas Whittemore Ayasofyadakı mozaiklərin üstünü açmaq üçün Türkiyənin yeni rəhbərliyindən icazə istəyib. Türkiyə prezidenti Mustafa Kamal Atatürkün razılığından sonra başlayan proses 15 il davam edib və 1947-ci ildə tamamlanıb. Nazirlər Kabinetinin 24 noyabr 1934-cü il tarixli qərarıyla Ayasofyaya muzey statusu verilib. 1 fevral 1935-ci ildə muzey olaraq istifadəyə verilib. 1996-cı ildə dünya abidələri siyahısına daxil edilən Ayasofyanın qübbə və minarələri 1997-2002-ci illərdə Dünya Abidələr Fondunun dəstəyilə bərpa olunub. Muzey həm də UNESKO-nun ümumdünya irsi siyahısındadır. Zaman-zaman muzeyin müxtəlif bölümlərində təmir işləri aparılır və proses bu gün də davam edir. Ayasofya Muzeyi Türkiyənin ən çox ziyarət edilən tarixi abidələrindəndir. 2015-ci ildə 3 milyon 425 min ziyarətçi sayına görə ölkə muzeyləri arasında üzrə birinci yerə çıxıb. 2017-ci ildə bu say 1 milyon 892-minə düşüb. Mübahisələr 2000-ci illərin əvvəllərindən başlayıb Ayasofya muzeyinin internet saytında 1936-cı il tarixli qeydiyyat sənədi yerləşdirilib. Muzeyi yenidən məscidə çevirməyi tələb edənlər həmin sənəddə yer almış \"Ayasofya Kəbir Məscidi\" ifadəsinə istinad edirlər. Amma bəzi istisnalar olmaqla, məscid ibadətə açıq deyil. 1967-ci ildə İstanbulu ziyarət edən Papa VI Paul Ayasofyada dua etdi 25 avqust 1967-ci ildə İstanbulu ziyarət edən Papa VI Paul da Ayasofyaya gedib və orda dua edib. Buna qarşılıq olaraq Milli Türk Tələbə Birliyinin rəhbərləri bir gün sonra orda namaz qılıb. Bu hadisədən sonra Ayasofyanın statusuyla bağlı ilk ciddi mübahisələr başlayıb. Təxminən 25 il sonra - 1991-ci ildə Hökmdar Qəsri (I Mahmud dönəmində Ayasofyanın ana binasından kənarda padşahların dincəlməsi və qüsl alması çün inşa edilmiş tikili) ibadətə açılıb. 2016-cı ilin oktyabr ayında ora imam təyin edilib. Hökmdar Qəsrində bayram namazı və gündə beş vaxt namaz qılınır, azan oxunur. 2014-cü ilin noyabr ayında Papa Francis İstanbula ziyarəti zamanı Ayasofyanı da gəzib, muzeyin müdirindən restavrasiya prosesi barədə məlumatlar alıb. 2014-cü ildə Papa Francis İstanbulu ziyarət edəndə Ayasofyanı da gəzib Hökmdar Qəsrinə imam təyin edilməzdən əvvəl - 2005-ci ildə Tarixi Əsərlər və Ətraf Mühitə Xidmət Dərnəyi Nazirlər Kabinetinin 1934-cü il tarixli qərarının ləğv edilməsiylə bağlı məhkəməyə müraciət edib. Məhkəmə şikayəti rədd edib. 2006-cı ildə muzeyin müsəlman və xristian işçiləri üçün ibadət otağı açılıb. 13 may 2017-ci ildə Anadolu Gənclik Dərnəyinin təşkil etdiyi bir qrup Ayasofyanın önündə səhər namazı qılıb. 21 iyun 1997-ci ildə Ilahiyyat Nazirliyi Ayasofyada Qədir gecəsi proqramı gerçəkləşdirib. Proqram dövlət kanalı TRT-də canlı yayımlanıb. Son olaraq 2018-ci ilin mart ayında prezident RecepTayyip Erdoğan Ayasofya Muzeyində keçirilən sərginin açılış mərasimində çıxış etməzdən əvvəl də Quran oxunub. Son tədbirlər Pravoslavlar tərəfindən narazılıqla qarşılanıb, Davamlı Vəqflər Tarixi Əsərlərə və Ətraf Mühitə Xidmət Dərnəyi yenidən Ayasofyanın ibadətə açılması tələbiylə çıxış edib. 2018-ci ilin oktyabr ayında Konstitusiya Məhkəməsi dərnəyin tələbini rədd edib. 2018-ci ilin martında Erdoğan Ayasofya Muzeyindəki sərginin açılışında çıxış edib 2013-cü ildə Erdoğan məscid təklifinə etiraz etmişdi - bu gün istinad etdiyi səbəbə görə 2013-cü ildə, yəni İstanbulun fəthinin 560-cı ildönümündə bəzi mühafizəkar qeyri-hökumət təşkilatları \"İstanbulun fəthinin imzası olan Ayasofya yenidən ibadətə açılsın\" tələbiylə çıxış etmiş, o vaxt Erdoğan məsələyə bu gün Tekirdağ mitinqində dediyi kimi reaksiya vermişdi. Həmin dönəmdə baş nazir olan Erdoğan 2013-cü ilin may ayında partiyasının Qızılcahamamdakı düşərgəsində millət vəkillərinin bu barədə sualına belə cavb vermişdi: \"Sultanəhməd Məscidi çox boşdur. Sultanəhməd dolsa, bu mövzunu da müzakirə edə bilərik\". Ayasofyanın məscid olması üçün 2013-cü ildə qanun layihəsi təklif edilib 2013-cü ilin oktyabr ayında o dönəmin millət vəkili Yusif Halaçoğlu Ayasofyanın yenidən məscid olmasıyla bağlı TBMM-ə qanun layihəsi təklif etmişdi. O, Ayasofyanın muzey olmasıyla bağlı Nazirlər Kabinetinin 1934-cü il tarixli qərarının \"Rəsmi Qəzet\"də dərc edilməməsini və qeydiyyat sənədində məscid olaraq göstərilməsini əsas gətirmişdi. Halacoğlunun təklifi 2013-cü ildən etibarən Milli Təhsil, Mədəniyyət, Gənclik və İdman Komissiyasındadır. Təklifə hələ cavab verilmədiyi üçün parlamentin müzakirəsinə göndərilməsi də baş tutmayıb. Qüds (Yerusəlim) və Ayasofya 2019-cu ildə də prezident Erdoğan Ayasofyanı gündəmə gətirib. Martın 25-də canlı yayımlanan bir müsahibəsində Ayasofya Muzeyinə girişin pulsuz olması tələbləriylə bağlı suala Erdoğan fərqli münasibət bildirib: \"Mümkün olmayan iş deyil. Adını artıq muzey yox, Ayasofya Məscidi qoyarıq. Turistlər Sultanəhməd, Fatih məscidlərinə gedirlər, hər hansı məbləğ ödəyirlərmi? Eyni qaydanı Ayasofyaya da tətbiq edərik. Muzey statusundan çıxar. Onsuz da o status sonradan verilib. Bu da yenə CHP zehniyyətinin addımıdır. Bu addımı dəyişdirərik\". 26 martda Trabzonda keçirilən bir partiya tədbirində Erdoğan eyni mövzuda aşağıdakı fikirləri söyləyib: \"Seçkilərdən sonra Ayasofya yenidən əslinə qaytaracağıq. Bu nə deməkdir? Yəni Ayasofyanı muzey olmaqdan çıxarıb məscid adı verməklə öz təbii halına gətirəcəyik. Trump qalxıb Qüdsü paytaxt elan edir. Eləmi? Qolan təpələrini işğalçı İsrailə aid edir, eləmi? Siz də Türkiyədən bir cavab alacaqsıznız, təbii ki… Alacaqsınız\". 25 martda ABŞ prezidenti Donald Trump İsrailin 1967-ci ildə işğal etdiyi Suriyaya aid Qolan təpələrini bu ölkənin ərazisi olaraq tanımaq barədə qərar imzalayıb. Bir həftə əvvəlsə Erdoğan Ayasofya Muzeyinin ibadətə açılması təkliflərini \"siyasi oyun\" adlandırmışdı. İlk dəfə martın 16-sında, Tekirdağ mitinqində bir vətəndaşın muzeyi yenidən məscidə çevirmək təklifinə Erdoğan belə reaksiya vermişdi: \"Əvvəlcə Sultanəhməd Məscidini doldurun, ondan sonra baxarıq. Təzə tikdirdiyimiz Böyük Camlıca məscidi 4-5 Ayasofya böyüklüyündədir. Anadolu yaxasında, bütün İstanbulda və Türkiyədə ən böyük məsciddir. Məsələ bunda deyil, işin siyasi tərəfi var. Yan tərəfdəki Sultanəhməd Məscidini doldurmursan, biz Ayasofyanı dolduraq... Bu oyunlara gəlməyək, bunlar hamısı oyundur. Biz nə vaxt nəyi necə etməyi çox yaxşı bilirik. Bu namussuzlar belə dedi deyə biz addım atmarıq\". Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğan cəmiyyətin və İslam dünyasının \"illərdir Ayasofyanı məscid olaraq görmək istədiyini\" əsas gətirərək 31 mart bələdiyyə seçkilərindən sonra Ayasofya Muzeyinin məscidə çevrilməsiylə bağlı proses başladılacağını açıqlayıb. Erdoğan deyib ki, \"Məscidin muzeyə çevrilməsi çox böyük səhv idi. Biz də dedik ki, çox böyük ölçüdə tələb olduğuna görə belə bir addım atmağın zamanı gəlib\". Bu qərarı tənqid edənləri \"ehkam kəsməkdə\" günahlandıran Erdoğan ardınca bunları deyib: \"Əl-Əqsa məscidiylə bağlı o qədər hücumlar olur, səsiniz çıxırmı? Adamlar Əl-Əqsaya çəkməylə girilər, şüşələri qırıb-tökürlər, \"Quran-i Kərim\"ləri yerə atırlar. Biz müsəlmanıq, bu bizim heysiyyatımıza toxunur. Əsrlədir davam edən hədəfimizdən artıq geri addım atdıra bilməzlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/38718046", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38716698", "doc1": "গত বছর আগস্টে গ্যালাক্সি নোট সেভেন লঞ্চ হওয়ার পরপরই তাতে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কটি ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে কোম্পানি বলছে, ফোনের সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার কোনটিই নয় বরং ব্যাটারি গরম হয়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যাচ্ছিলো। ব্যাটারির ডিজাইন এবং নির্মাণেই মূল সমস্যা ছিলো। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়ে এই ভুলের দায় স্বীকার করে বলছে ব্যাটারি নির্মাতার বিরুদ্ধে তারা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। এই ফোনের ব্যাটারি নির্মাতা স্যামসাং-এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি স্যামসাং এসডিআই এবং চীনা নির্মাতা এমপেরেক্স টেকনোলজি। গত বছর আগস্টের শেষের দিকে স্যামসাং-এর স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট সেভেন বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল কাস্টমারদের কাছে। বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। বলা হচ্ছিলো এটি বাজারের সেরা এন্ড্রয়েড ফোন এবং আই-ফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বাজারে ছাড়ার পরপরই এই ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন পকেটে থাকা অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা স্বভাবতই বেশ উদ্বিগ্ন করে তোলে ব্যবহারকারীদের। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কোম্পানিটি এর বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় এবং বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে ৫০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানির। ফোনটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর মার্কিন অ্যাভিয়েশন অথরিটি এবং বেশ কয়েকটি বিমান কোম্পানি এই মডেলের সেট নিয়ে বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ করে দেয়। তবে কিছু ক্রেতা এখনো এটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আরো পড়ুন:অন্যের হয়ে কারাভোগ, প্রতারণার মামলা", "doc2": "Galaxy Note 7 rəsmən 2016-cı ilin avqustunda satışa buraxılıb Şirkətin məlumatında bildirilir ki, Samsung mütəxəssisləri səhvə görə məsuliyyəti öz üzərinə götürürərək smartfonlar üçn batareya istehsalı prossesində dəyişikliklər etmək niyyətindədirlər. \"Biz bu hadisələrin təkrarlanmamasını təmin etmək üçün bəzi tədbirlər görmüşük \", - deyə məlumatda bildirilir. Rəsmən 2016-cı ilin avqustunda satışa buraxılan Galaxy Note 7 smartfonu Galaxy Note 5-in davamçısı sayılır. Ötən ilin sentyabr ayında Samsung şirkəti 2,5 milyon smartfonun bu modelini satışdan geri çağırıb. Buna smartfonların bir neçə dəfə partlaması və yanması səbəb olub. Baş verən hadisələr nəticəsində ABŞ rəhbərliyi və digər ölkələr təyyarənin bortunda Galaxy Note 7 -dən istifadəni qadağan etmişdi. Analoji qadağaları böyük avia şirkətlər, o cümlədən \"Aeroflot\" da qəbul etmişdi. Bu modellərin partlamasından sonra Samsung şirkəti onların satışının dayandırılmasını elan etdi. Şirkətin qiymətləndirməsinə görə smartfonlarla bağlı yaranan problem onlara 5,3 milyard dollar ziyan vurmaqla yanaşı, şirkətin nüfuzuna da ciddi zərbə vura bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45974510", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40928707", "doc1": "প্রিন্স তুর্কি, প্রিন্স সুলতান আর প্রিন্স সাইফ আল-নাসের তাদের তিনজনকেই অপহরণ করে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল - এমন প্রমাণও রয়েছে। আর তারপর থেকে তাদের সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি। সুলতান বিন তুর্কি বিন আব্দুলআজিজ ২০০৩ সালের ১২ই জুন সকালের ঘটনা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের বাইরে একটি প্রাসাদে ঢুকতে দেখা যায় একজন সৌদি রাজপুত্রকে। তার নাম সুলতান বিন তুর্কি বিন আব্দুল আজিজ। আরো পড়ুন: জামাল খাসোগি: কে এই সৌদি সাংবাদিক খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কারা এই ১৫ জন? খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই খাসোগজি হত্যা: 'বলির পাঁঠা' জেনারেল আসিরি? সঙ্গীদের সাথে যুবরাজ সুলতান বিন তুর্কি (মাঝে) প্রাসাদটিও রাজপুত্রের আত্মীয় প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের। বাদশাহ ফাহাদের ছেলে রাজপুত্র আবদুলআজিজ বিন ফাহাদের সাথে সকালের নাস্তা খেতে প্রাসাদে যান সুলতান। একপর্যায়ে সৌদি সরকারের সমালোচক সুলতানকে নিজ দেশ সৌদি আরবে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন আব্দুলআজিজ। সুলতান ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তখন আব্দুলআজিজ একটি ফোন করতে যান। তখন ঐ কক্ষে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি, সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সালেহ আল-শেখ, কক্ষ ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখোশ পরা কয়েকজন ঘরে ঢুকে এবং সুলতানকে চেতনাহীন করে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। অজ্ঞান অবস্থাতেই সুলতানকে জেনেভা বিমানবন্দরে নেয়া হয় এবং সেখানে অপেক্ষারত একটি বিমানে ওঠানো হয় তাঁকে। অনেকবছর পর সুইজারল্যান্ডের একটি আদালতে ঠিক এভাবেই সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন সুলতান। পরে জেনেভার হোটেলে থাকা সুলতানের সঙ্গীসাথীদের জানানো হয় যে সুলতানকে রিয়াদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই তাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু সুলতান কী এমন করেছিলেন যেজন্য তাকে এভাবে অপহরণ করতে হলো? সৌদি আরবে ফেরত গিয়ে সুলতানের ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় তাঁকে কারাগারে এবং ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘসময় কারাগারে এবং বাড়িতে আটক থাকার পর সুলতানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে সম্মত হয় রাজপরিবার। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সুইস আদালতে আব্দুলআজিজ বিন ফাহাদ এবং শেখ সালেহ আল-শেখ এর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন সুলতান। প্রথমবার কোনো সৌদি রাজপরিবারের সদস্যের আরেক রাজপরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে পশ্চিমা আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সেখান থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ইউরোপ যান সুলতান। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ইউরোপে পৌঁছানোর পর থেকেই সৌদি সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন ইউরোপিয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে শুরু করেন সুলতান। তার সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে সুলতান এবং তাঁর ১৮ জন সফরসঙ্গীকে প্যারিস থেকে কায়রো নিয়ে যাওয়া হবে বলে একটি বিমানে উঠিয়ে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর কোনে খোঁজ পাওয়া যায়নি সুলতানের। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যুবরাজ তুর্কি বিন বান্দার রাজপুত্র তুর্কি বিন বান্দার রাজপুত্র তুর্কি বিন বান্দার একসময় সৌদি পুলিশের একজন মেজর ছিলেন, যিনি রাজপরিবারের সদস্যদের পুলিশি সেবা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্বে পরিবারের সদস্যদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পরলে একসময় কারাদণ্ড দেয়া হয় তাকে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ২০১২ সালে প্যারিসে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়েই সৌদি আরবের সংস্কার চেয়ে ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন তিনি। রাজপুত্র সুলতানের মত তুর্কিকেও আলোচনার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে আলোচনার মাধ্যমে রাজপুত্র তুর্কির মন গলাতে পারেনি সৌদি সরকারি কর্মকর্তারা। ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করে যান তুর্কি। সেবছরের শেষদিকে হঠাৎই উধাও হয়ে যান তিনি। তারপর এখন পর্যন্ত রাজপুত্র তুর্কি বিন বান্দার এর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। যুবরাজ সউদ বিন সাইফ আল-নাসের রাজপুত্র সউদ বিন সাইফ আল-নাসের রাজপুত্র তুর্কি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি সময় একই ধরণের পরিণতি হয় আরেকজন রাজপুত্রসউদ বিন সাইফ আল-নাসেরের। ইউরোপে বিলাসবহুল জীবনযাপনে উৎসাহী ছিলেন এই রাজপুত্র। ২০১৪ সাল থেকে টুইটারে সৌদি রাজতন্ত্রকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়া শুরু করেন সৌদ। পরের বছর বাদশাহ সালমানকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাতনামা একজন সৌদি রাজপুত্রের লেখা দু'টি চিঠি ফাঁস হলে ঐ যুবরাজের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন সৌদ। এক টুইটে ঐ চিঠির বিষয়বস্তুকে গুরুত্বের সাথে নিতে সৌদি জনগণকে আহ্বান জানান সৌদ। এর কিছুদিন পর থেকে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি নিরব হয়ে যায়। জার্মানিতে পালিয়ে যাওয়া আরেকজন সৌদি রাজপুত্র খালেদ বিন ফারহানের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক বৈঠকের কথা বলে কৌশলে সৌদকে রিয়াদে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাজপুত্র খালেদ বলেন, \"সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচনা করা আমার চারজনই ছিলাম ইউরোপে, যাদের মধ্যে তিনজনকেই অপহরণ করা হয়েছে।\" রাজপুত্র খালেদ আশঙ্কা করছেন নিকট ভবিষ্যতে তাঁকেও অপহরণ করা হতে পারে। জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান", "doc2": "Şahzadə Sultan bin Turki (ortada) 2003-cü ilin iyunun 12-də səhər tezdən Səudiyyə şahzadəsi Sultan bin Turki bin Əbduləziz avtomobildə, əmisi, mərhum kral Fəhdə mənsub olan və Cenevrə ətrafında yerləşən saraya gətirilib. Kralın sevimli oğlu, şahzadə Əbduləziz bin Fəhd, Sultanı saraya səhər yeməyinə dəvət etmişdi. Əbduləziz, Sultandan Səudiyyəyə qayıtmağı xahiş edir. Onun sözlərinə görə, orada sultanın tənqidi çıxışları ilə bağlı Səudiyyə rəhbərliyi ilə münasibətində əmələ gəlmiş gərginlik öz həllini tapmalı idi. Sultan bu təklifdən imtina etdikdə isə, Əbdulaziz telefon zəngi etmək üçün otaqdan çıxır. Otaqdakı digər bir şəxs, Səudiyyənin İslami münasibətlər naziri, şeyx Saleh əl-Şeyx də eyni hərəkəti edir. Bir neçə saniyədən sonra isə həmin otağa maskalı adamlar daxil olaraq, Sultanı döyüb əlini qandallayır və boğazına iynə vururlar. Huşsuz vəziyyətdə Sultan, Cenevrə aeroportuna gətirilir və orada gözləyən təcili tibbi yardım təyyarəsinə yerləşdirilir. Hər halda, illər keçəndən sonra Sultanın İsveçrə məhkəməsinə verdiyi ifadələrdə hadisə belə təsvir olunub. Sultanın Cenevrə otelinə geri qayıdacağını gözləyən ətrafı arasında isə onun kommunikasiya katibi Eddie Ferreira olub. \"Biz təhlükəsizlik komandası ilə əlaqə yarada bilmirdik. Biz şahzadə ilə əlaqə yaratmağa cəhd etdik, lakin o, cavab vermirdi\", - Eddie Ferreira xatırlayır. Günorta isə oteldə Sultanın qaldığı nömrəyə iki gözlənilməz qonaq gəlir. \"Səudiyyənin İsveçrədəki səfiri və otelin baş meneceri bizə nömrəni boşaltmaq və oteli tərk etmək göstərişi verdilər, - Ferreira deyir. - Şahzadə artıq Ər-Riyadda idi. Bizim qulluğumuza artıq ehtiyac yox idi\". Ailəsi tərəfindən Sultanın bu cür kobudcasına oğurlanmasına səbəb nə ola bilərdi? Ötən il o, Avropaya tibbi müalicə keçmək üçün gələndən sonra verdiyi müsahibələrdə Səudiyyə hökümətini tənqid etməyə başlamışdı. O, ölkədə insan haqları durumunu pisləmişdi, şahzadələr və rəsmilər səviyyəsində korrupsiya hallarını qeyd edərək ölkədə islahatların keçirilməsinə çağırış etmişdi. Kral Əbduləziz 1932-cii ildə Səudiyyə Ərəbistanını yaratdığı andan ölkədə mütləq monarxiya bərqərar olub və dissidentlərə qarşı dözümsüzlük nümayiş etdirilib. Şahzadə Turki bin Bəndər Pakistanın Maliyyə naziri ilə 2003-cü ildə görüşdüyü zaman. Şahzadə Turki bin Bəndər bir vaxtlar Səudiyyə poilisinin mühüm fiquru olub, kral ailəsinin mühafizəsinə cavabdeh olub. Lakin vərəsəlik mübahisəsinə görə yaranmış ailədaxili münaqişədən sonra o həbsxanaya düşür. Azadlığa çıxdıqdan sonra isə Parisə uçur və 2012-ci ildən YouTube-da Səudiyyədə islahatlara çağıran videolar yerləşdirməyə başlayır. Səudiyyəlilərin buna reaksiyası şahzadə Sultanla olduğu kimi oldu. Onlar Turkini dilə tutub, geri qaytarmağa cəhd etdilər. Daxili İşlər nazirinin müavini Əhməd əl-Səlim, ona telefon açanda, şahzadə telefon söhbətini yazıb internetdə paylaşdı. Turki videoları 2015-ci ilin iyul ayına qədər dərc etməyə davam etdi. Lakin sonradan o yoxa çıxdı. \"O, bir-iki aydan bir adətən mənə zəng edərdi, - fəal və bloqer dostu Vail əl-Xələf deyir. - Odur ki, dörd-beş ay ondan səs çıxmayanda, mən şübhələndim. [Sonra] Krallığın yüksək vəzifəli birisindən öyrəndim ki, Turki bin Bəndər onlardadır. Demək, onlar onu tutub oğurlayıblar\". Uzun axtarışdan sonra bir Mərakeş qəzetində Turki barədə xəbərə rast gəldim. Xəbərdə deyilirdi ki, Mərakeşə səfərindən sonra Fransaya yola düşməyə hazırlaşarkən, o həbs olunub və Səudiyyənin xahişi ilə Mərakeş məhkəməsinin qərarı əsasında deportasiya olunub. Turki bin Bəndərin başına nə iş gəldiyi barədə dəqiq məlumatımız yoxdur, lakin yoxa çıxandan əvvəl o, dostu Vailə yazdığı kitabı verərək, əlyazmaya belə bir məktub də əlavə etmişdi: \"Əzizim Vail, yazdığım bəyanatlar, mən oğurlana və ya öldürülənədək açıqlanmamalıdır. Bilirəm ki, onlar məni öldürəcək və ya oğurlayacaq. Onu da bilirəm ki, onlar necə mənim və Səudiyyə xalqının hüquqlarını pozur\". Şahzadə Səud bin Səif ən-Nəsr Turki yoxa çıxan dövrdə, kral ailəsinin daha bir üzvü eyni aqibəti yaşayıb - Avropa kazinolarını və bahalı otelləri xoşlayan şahzadə Səud bin Səif ən-Nəsr. O, Səudiyyə kral sülaləsi iyerarxiyasında nisbətən aşağı pillələrdə yer tutan birisi sayılır. Səud, 2014-ci ildən bəri Səudiyyə monarxiyası barədə tənqidi ruhda yazılmış tvitlər paylaşıb. O, Misirdə prezident Məhəmməd Morsinin devrilməsini dəstəkləmiş Səudiyyə rəsmilərinin mühakimə olunmasına çağırış etmişdi. 2015-ci ilin sentyabrında Səud bundan da irəliyə getdi. Anonim Səudiyyə şahzadəsi tərəfindən kral Salmanı devirməyə çağıran iki məktub yazıldıqdan sonra, həmin çağırışı açıq şəkildə dəstəkləyən, kral ailəsi üzvlərindən yalnız Səud oldu. Bu hərəkət dövlət xəyanətinə bərabər idi və ola bilsin ki, bununla o, özünə hökm oxumuş oldu. \"Mən ölkəni bu məktublarda yazılanları xalq təzyiqinə çevirməyə çağırıram\", - Səud öz Twitter səhifəsində yazmışdı. Bundan sonra onun Twitter hesabına sükut çökdü. 2013-cü ildə Almaniyaya uçmuş digər bir şahzadə dissident - şahzadə Xalid bin Fərhan - hesab edir ki, Səud oğurlanıb. O güman edir ki, Səud, bir Rusiya-İtaliya şirkətilə işgüzar danışqlar aparmaq üçün Milandan Romaya uçmağa dilə tutulub və yolda oğurlanıb. \"Səudu Romaya çatdırmaq üçün şirkətin özəl təyyarəsi göndərilib. Lakin təyyarə Romada yerə enməyib, əvəzində, Ər-Riyada uçub, - Xalid deyir. - Bu əməliyyatı Səudiyyə kəşfiyyatı qurub\". \"İndi şahzadə Səudun taleyi şahzadə Turkinin taleyi ilə eynidir… həbsxana zirzəmisi\", - o deyir. Şahzadə Sultan, kral sülaləsi iyerarxiyasında daha yuxarılarda durduğundan həbsxana ilə ev dustaqlığı arasında var-gəl edib. Lakin onun səhhəti pisləşdikdən sonra, 2010-ci ildə kral ailəsi ona ABŞ-da, Massachusetts ştatının Boston şəhərində müalicə kursu almağa icazə vermişdi. Şahzadə Sultan ABŞ-da olduğu zaman İsveçrə məhkəməsinə cinayət törədilməsi barədə şikayət ərizəsi göndərdi. Həmin ərizədə o, 2003-cü ildə oğurlandığına görə şahzadə Əbduləziz bin Fəhdi və şeyx Saleh əş-Şeyxi ittiham etmişdi. Onun amerikalı vəkili, Clyde Bergstresser, şahzadənin Ər-Riyadda yatdığı kral xəstəxanasından onun sağlamlıq durumu barədə qeydləri əldə edə bilmişdi. Həmin tibbi sənədlərdə, şahzadə 2003-cü il iyunun 13-də xəstəxanaya gətirilərkən, nəfəsi ağzına yerləşdirilmiş boru vasitəsilə aldığı və zənn edildiyi kimi, hücuma məruz qalması nəticəsində diafraqmasının bir tərəfinin iflic vəziyyətdə olduğu qeyd olunmuşdu. İlk dəfə olaraq, Səudiyyə kral ailəsinin yüksək vəzifəlisi, ailənin digər üzvünə qarşı cinayət işi qaldırmaq üçün Qərb məhkəməsinə şikayət etmişdi. Lakin Bergstresser-in dediyinə görə, İsveçrə rəsmiləri tərəfindən bu işə göstərilən maraq zəif idi. \"Aeroportda nə baş verdiyini araşdırmaq üçün heç nə edilmədi, - o deyir. - Pilotlar kimi idi? Bu hadisə İsveçrədə törədilmişdi. Orada nə baş verdiyinin aydınlaşdırılmasına maraq göstəriləcəyini güman etmək olardı\". 2016-cı ilin yanvar ayında, Sultan, Paris otelində qaldığı zaman Səud bin Səif an-Nəsr kimi təyyarəyə oturmağa dilə tutulmuşdu. O, Qahirədə atasına baş çəkməyə hazırlaşırdı. Onun atası da Səudiyyə hökümətinin tənqidçisi kimi ad qazanmışdı. Sultanı bu səfərdə ABŞ və Avropadan olan 18 nəfərdən ibarət komandası müşayiət etməli idi. Onların arasında həkimlər, tibb bacıları və mühafizəçilər var idi. Səudiyyə konsulluğu şahzadəyə komandası ilə birgə uçuş üçün təyyarə ayırmağı təklif edir. Şahzadə, 2003-cü ildə başına gələnlərə baxmayaraq, bu təklifi qəbul edir. Bundan sonra hadisələrin necə inkişaf etdiyini, şahzadəni müşayiət edən heyətə daxil olan iki nəfər danışmağa razılıq verib. Onlar adlarının çəkilməsini istəməyib. \"Biz uçuş zolağına çıxdıq, qarşısımızda böyük bir təyyarə dayanmışdı.. üzərində təyyarənin Səudiyyə Ərəbistanına məxsus olduğu yazılmışdı,\" - onlardan biri deyir. \"Təyarənin göyərtəsində xeyli sayda heyət üzvü var idi - hamısı kişi idi. Cansıxıcı bir vəziyyət idi\", - o birisi davam edir. Təyyarə havaya qalxanda göyərtədəki monitorlar uçuşun Qahirəyə olduğunu göstərirdi. Lakin sonradan monitorlarda təsvir pozuldu və bu 2,5 saat davam etdi. Uçuş zamanı ona ayrılmış otaqda yuxulayan şahzadə Sultan enişə bir saat qalmış oyandı. Pəncərədən aşağıya baxandan sonra o, narahat olmağa başladı, komandasının keçmiş üzvləri deyir. Başa düşəndə ki, onlar Səudiyyə Ərəbistanına enməyə hazırlaşır, Sultan pilot kabinəsini döyməyə və qışqıraraq köməyə çağırmağa başladı. Yerə endikdən sonra təyyarəni silahlı əsgərlər mühasirəyə aldı. Əsgərlər və təyyarənin uçuş heyəti Sultanı sürüyərək təyyarədən bayıra çıxardılar. Şahzadə, qışqıraraq öz adamlarına ABŞ səfirliyinə zəng etməyi tapşırdı. Şahzadə və onu müşayiət edən həkimləri silahlı əsgərlərin keşik çəkdiyi malikanəyə apardılar. Şahzadəni müşayiət edən komandanın qalan üzvləri isə bir müddətdən sonra otelə aparıldı. Onlar orada 3 gün ərzində pasportsuz və telefonsuz saxlanıldı. Sonradan, şahzadəni müşayiət edən adamlara istədikləri yerə uçmağa icazə verildi. Onlar Səudiyyəni tərk etməzdən əvvəl bir səudiyyəli rəsmi onlara üzrxahlıq bildirib. \"O dedi ki, biz, sadəcə, yanlış vaxtda yanlış yerdə olmuşuq. Və narahtlıq yarandığına görə üzr istədi\", şahzadənin komandasının keçmiş üzvlərindən biri deyir. \"Lakin söhbət narahatlıqdan getmir - bizi oğurlamışdılar. Mən istəyimə zidd olaraq seçmədiyim ölkəyə gətirilmişdim\", - başqası əlavə edir. Bu, heyrətli bir vəziyyət idi. Şahzadə Sultanla birlikdə 18-ə yaxın xarici vətəndaş oğurlanaraq Səudiyyə Ərəbistanına gətirilmişdi və Səudiyyə hərbiyyəsi tərəfindən saxlanılmışdı. Həmin hadisədən sonra şahzadə Sultan barədə heç bir xəbər yoxdur. Mən filmim üçün Sədiyyə Ərəbistanı rəsmilərindən ittihamlara cavab verməyi xahiş etmişdim. Onlar məsələni şərh etməkdən boyun qaçırdı. Şahzadə Xalid Bu arada isə, şahzadə Xalid hələ də Almaniyada mühacirətdədir. O, Ər-Riyada zorla qaytarılacağından ehtiyat edir. \"Kral ailəsi üzlərindən dördü Avropada idi. Biz ailəni və Səudiyyə Ərəbistanında tətbiq olunan üsul-idarəni tənqid edirdik. Dördümüzdən üçü oğurlandı. Yalnız mən indi qalmışam\", - o deyir. Oğurlanacaqlar siyahısında növbə ona çatmayıb ki? . \"Mən buna əminəm. Onların imkanı olsa, elə indicə məni oğurlayıb apararlar. Çox ehtiyat edirəm. Amma nə etmək olar, azadlığın qiyməti baha olur\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47346218", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47136428", "doc1": "বিশেষজ্ঞরা বলছেন আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন এই ধারণা অবান্তর। আমরা বিভিন্ন সময়ে উপদেশ শুনি রাতে ভালো ঘুমের জন্য শোবার ঘর থেকে টিভি সরিয়ে ফেলুন, ভালো একটা আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করা। মোবাইল ফোন সহ সব প্রযুক্তিগত জিনিস এক, দুই ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি অভিজাত স্তরের ঘুম ঘুমাতে চান তাহলে কী করতে হবে? নিক লিটলহেলস একজন ঘুমের কোচ। তার লক্ষ্য হল ক্রীড়াবিদরা যাতে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীরের ধকল একদম কাটিয়ে উঠতে পারে। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত বড় বড় ক্লাবের সাথে কাজ করেছেন। তার দেয়া কিছু টিপস এখানে উল্লেখ করা হল। চেষ্টা করলে আপনিও হয়ত একজন প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড়ের মত ঘুমাতে পারবেন। আমাদের ঘুম ৯০ মিনিটের চক্র অনুযায়ী চলে। অর্থাৎ দেড়ঘন্টা পর আপনার ঘুম ভাঙ্গতে পারে। ঘণ্টা হিসেব করে ঘুম নয় নিক বলছেন প্রতি মানুষের জন্য আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন এই ধারণা অবান্তর। তিনি বলছিলেন, আমাদের ঘুম ৯০ মিনিটের চক্র অনুযায়ী চলে। অর্থাৎ দেড়ঘন্টা পর আপনার ঘুম ভাঙ্গতে পারে। তাই আপনি যদি সকাল সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে চান তাহলে প্রতি দেড় ঘণ্টা অন্তর অন্তর আপনার ঘুমের সাইকেল চলতে থাকে। দিনের মধ্যভাগে ঘুম হল দ্বিতীয় স্বাভাবিক ঘুমের সময় অল্প কিন্তু ঘন ঘন ঘুমান দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে যখন অবশ্যই আপনি বিশ্রাম নিতে চাইবেন। দিনের মধ্যভাগে ঘুম হল দ্বিতীয় স্বাভাবিক ঘুমের সময়। এবং আরেকটি বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭টা। অনেক অ্যাথলেট ঘুমের এই স্বাভাবিক সময় মেনে চলেন। ঘুম পরবর্তী পরিকল্পনা ঘুমের পর আপনি কী করবেন সেটা সম্পর্কে আগেই পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা করে রাখুন। তিনি বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে আপনি কী করছেন সেটাই নির্ধারণ করে আপনি কতটা ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবেন। লাইট থেরাপি ডিভাইস নিক বলছেন যদি আপনি ঘুম থেকে উঠতে না পারেন তাহলে লাইট থেরাপি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। যেটা অন্ধকার ঘরে সূর্য উঠা এবং ডোবার পরিবেশ তৈরি করবে। বড় বিছানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বড় বিছানা দরকার ঘুমের এই কোচ বলছেন ভালো ঘুমের জন্য আপনার ঘরে যত বড় বেড রাখা যায় তত বড় বেড রাখুন। কারণ ভালো ঘুমের জন্য বড় বিছানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে নিশ্বাস নেয়ার অভ্যাস করুন। কারণ মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেয়ার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং ভালো ঘুম নাও হতে পারে।", "doc2": "Televizoru otaqdan çıxarın, yatmazdan bir-iki saat əvvəl smarfondan uzaq durun, əmin olun ki, yatağınız rahatdır. Bəs görəsən, dünyanın aparıcı futbolçularına kömək edən mütəxəssisin dərin yuxu sirləri nədən bəhs edir? Yuxu üzrə nüfuzlu ekspert Nick Littlehales məşhur idmançılara verdiyi tövsiyələrini BBC-nin \"Don't Tell Me The Score\" proqramının aparıcısı Simon Mundy ilə bölüşüb. 1. Saat yox, dövri yuxu kəsimlərini düşünün Oyanmadan 8 saatlıq gecə yuxusuna ehtiyac mifdir, Nick deyir. Yatarkən biz bir-birini əvəz edən Qeyri Sürətli Göz Hərəkəti yuxusu (Non Rapid Eye Movement ) və Sürətli Göz Hərəkəti (REM) yuxusuna dalırıq və beləliklə yuxu 90 dəqiqəlik dövrü fazalardan ibarətdir. Həmin 90 dəqiqəlik yuxu intervallarına riayət etmək mühümdür. Bunun üçün oyanmadan yatdığınız yuxu müddəti yeddi yarım, 6 və ya dörd saat yarımlıq kəsimlərə bərabər ola bilər. Yatağa getmək vaxtını hesblamaq üçün 90 dəqiqəlik yuxu fazalarını səhər oyanma vaxtından geriyə doğru hesablamaq məsləhətdir. Misal üçün: 18:30-da oyanmaq istəyirsinizsə, saat 05:00, 03:30, 02:00, 12:30 və ya 23:00-da yatmaq lazımdır. 2. Bir gecə yox, bütöv həftə ərzində ümumi yuxu həcmini düşünün Bir gecə ərzində yuxu həcmindənsə, gün və ya həftə ərzində yatdığınız saatların ümumi hesabı daha önəmlidir. \"İstədiyimiz budur ki, gündə 5 saat olmaq şərti ilə 7 gün ərzində 35 dövrü yuxu kəsimlərinə nail olaq\", Nick deyir. Tələb edilən sayda dövrü yuxu kəsimlərinə riayət etmək üçün bir gecə yatağa gec gedəndə, ertəsi gün daha erkən yatmalısınız. Yuxunu iş və sosial cədvəli nəzərə almaqla bir həftə əvvəl planlaşdırmaq məsləhətdir. 3. Fasiləli və yaxud çoxfazalı yuxu Nick deyir ki, elektrik işığı icad edilənədək insanların çoxu körpə uşaqlar kimi fasiləli şəkildə yatardı. \"Daha qısa, lakin daha tez-tez yuxuya dalardılar\". Sirkad ritmi prosesinin dövrü 24 saata bərabərdir və \"bir insan kimi biz tamamilə\" bu prosesə tabe oluruq. Gün ərzində müəyyən vaxtlar var ki, biz istirahət etməliyik. Günorta da təbii yuxu vaxtıdır. Daha bir yatmaq vaxtı axşam saat 5 və 7-yə təsadüf edir. İdmançılar bu təbii ritmlərə uyğun vaxtlarda istirahət edir. Nick hesab edir ki, biz fasilə ilə gecə, günorta və axşam yata bilərik. İnsan bədəni sirkad bioloji ritmlərinə köklənib. 4. Mürgüləməkdənsə, \"nəzarətli bərpa dövrləri\" Nick hesab edir ki, istirahət yalnız yuxu kimi qəbul olunmamalıdır və o, mürgü əvəzinə \"nəzarətli bərpa dövrləri\"ni (CRP) qeyd edir. \"CRP ilə yuxuya dalmaq arasında heç bir əlaqə yoxdur\". Bu müddət ərzində siz meditasiya edə, başını dəsmalla örtə və ya çəkilib sakit bir yerdə otura bilərsiniz. CRP yatmaq sayılmır və onun həftəlik yuxu cədvəlinə aidiyyəti yoxdur. Bir çox futbol klubunda bunun əhəmiyyətini dərk edir, məşq yerlərində istirahət otaqları yaradırlar. 5. Yuxudan oyanma rejiminə riayət Yuxudan oyandıqdan sonrakı 90 dəqiqə yuxuöncəsindən daha mühümdür. Oyanmadan sonrakı hərəkətlər bərpanın keyfiyyətinə təsir göstərir. Belə ki, yuxudan oyanarkən ardıcıl rejimə riayət edin. Bunlar su içmək, səhər yeməyi, yüngül fiziki məşq və tualetə getmək kimi hərəkətləri əhatə edə bilər. 6. İşıq terapiyası qurğusundan istifadə Nick, tövsiyə edir ki, oyanmağa çətinlik çəkənlər, qaranlıq otaqda günəşin batıb-çıxması effektini yaradan işıq terapiyası qurğusundan istifadə etsinlər. Bu, bədəndə yuxuya cavabdeh melatonin və fəallıq hormonu olan seratonini işə salacaq. \"Bəzi şirkətlər öz binalarında sirkad ritmlərini təkrarlayan işıqlandırma avadanlığı quraşdırıblar\". Siz, həmçinin, gün ərzində işıq və qaranlıq nisbətini müəyyən edən smartfon tətbiqini də istifadə edə bilərsiniz. 7. Daha geniş yataq alın Harada və necə yatmağınıza dair kiçicik bir yenilik çox əhəmiyyətli təsirə malik ola bilər. Bəzi yataqlar böyüklüyünə görə superkral adlandırılır, Nick deyir. Lakin əslində onlar yan-yana qoyulmuş iki adi ölçülü yataqdır. Yuxu mütəxəssisinə görə, ölçü doğrudan da əhəmiyyətə malikdir və otağa yerləşəcək ən böyük yatağı seçmək lazımdır. 8. Böyrü üstə yatın, burnunuzla nəfəs alın Dominant tərəfinizə əks olan yanınızda yatmaq məsləhətdir, Nick deyir. İdeal halda yastıqsız yatmaq lazımdır. Nəhayət, yatarkən çalışın ki, burnunuzla nəfəs alasınız. Ağızla nəfəs almaq narahat və keyfiyyətsiz yuxunun əsas səbəbkarlarındandır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51341304", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international/2016/06/160626_eu_brexit", "doc1": "ব্রিটেনের ইউরোপীয়ান ত্যাগের মুহূর্ত , প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন শনিবার সকালে ব্রিটেনের মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন এক নতুন যুগে যেখানে - ব্রেক্সিট সমর্থকদের ভাষায় - যুক্তরাজ্য 'স্বাধীন' দেশ, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অংশ নয়, ইউরোপের মূলভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণহীন অভিবাসন আর হবে না, ইইউর তহবিলে যুক্তরাজ্যকে শত শত কোটি পাউন্ড চাঁদা দিতে হবে না, যুক্তরাজ্য কোন দেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে তার ওপর ব্রাসেলসের খবরদারি থাকবে না, যুক্তরাজ্যের আইনের ওপর থাকবে না ইউরোপীয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের কর্তৃত্ব, ব্রিটিশ জেলেরা তাদের সমুদ্রসীমায় ইচ্ছামত মাছ ধরতে পারবে - ইত্যাদি। একটু ভুল হলো। এগুলো কিছুই আসলে শনিবার সকাল থেকে কার্যকর হয়নি। এখনো সব কিছু আগের মতোই থাকবে, অন্তত এ বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওপরে যা বলা হয়েছে, সেগুলো কার্যকর হবে ২০২১ সাল থেকে, যদি তার আগে ব্রিটেনের সাথে ইউরোপের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কী হবে তার চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে যায় - তবেই। সাতচল্লিশ বছর ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকার পর ব্রিটেনের এই বিদায় - যা আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করেছেন ব্রেক্সিট-সমর্থকরা। আর যারা ছিলেন 'রিমেইনার' অর্থাৎ ইইউতে থাকার পক্ষে - তাদের কাছে শুক্রবার ছিল এক শোকের দিন। অনেক বিশ্লেষকই বলেছেন, যুক্তরাজ্য আর ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের 'বিয়ে' কোনকালেই ঠিক সুখের ছিল না। ব্রাসেলসে ইইউ সদর দফতর থেকে ব্রিটিশ পতাকা নামানো হচ্ছে লেবার পার্টির এমপি হিলারি বেন বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, ব্রিটেন ছিল ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের এক 'অনিচ্ছুক' সদস্য। তারা ইইউতে যোগ দিয়েছিল অনেক পরে, আর বিদায়ও নিয়েছে সবার আগে। মি. বেন বলেন, গত রাতটি তার জন্য ছিল দুঃখের, কিন্তু একে মেনে না নিয়ে উপায় নেই। ব্রেক্সিট মেনে নেয়নি যুক্তরাজ্যের অংশ স্কটল্যান্ড। তাদের চিফ মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন বলেছেন, স্কটল্যান্ড একদিন স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপের কেন্দ্রে ফিরে আসবে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে - যাদের সাথে ইউরোপের অংশ আইরিশ প্রজাতন্ত্রের স্থলসীমান্ত আছে - সেখানে আরমাগ সীমান্তে একটি ব্রেক্সিটবিরোধী গ্রুপ বিক্ষোভ করেছে। সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র অনুভূতি গত কয়েকদিনে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে অসংখ্য লোকের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে - যাদের কেউ ব্রেক্সিট উপলক্ষে আনন্দ উল্লাস করছেন, আবার কেউ তার ইইউ নাগরিকের পরিচয় হারানোর দুঃখে চোখের জল ফেলেছেন। ব্রিটেনে এমন অনেক দম্পতি আছে - যাদের একজন ব্রিটিশ, আরেকজন ইউরোপের কোন এক দেশের। এতদিন তারা যেন একই দেশের নাগরিক ছিলেন - যখন খুশি এদেশে-ওদেশে যাওয়া-আসা, যেখানে খুশি চাকরিবাকরি করা - কোন বাধা ছিল না। হঠাৎ যেন এক আঘাতে তাদেরকে দুই ভিন্ন দেশের নাগরিক বানিয়ে দিয়েছে এই ব্রেক্সিট। ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের যে অফিস - সেটির নতুন নাম হয়েছে 'ইউকে মিশন ইন দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।' ব্রেক্সিটের পর ঘটনাক্রম: কী হতে যাচ্ছে ব্রিটেনে বসবাসরত ইউরোপীয়ান নানা দেশের নাগরিকের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। তেমনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ ব্রিটিশ নাগরিক বাস করেন। ব্রেক্সিটের কারণে ২০২১ সাল থেকে এই মানুষদের থাকা, কাজকর্ম করা, যাতায়াত থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা ও ঝামেলা তৈরি হতে পারে, যা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে দু'পক্ষের আলোচকদের। ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লাইন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এটি তাদের জন্য একটি আবেগপূর্ণ দিন। তারা যুক্তরাজ্যের উপস্থিতির অভাব অনুভব করবেন, কিন্তু তিনি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ইইউ-ব্রিটেন ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের আলোচনায় ব্রাসেলস তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করবে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলও বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সাথে ইইউর ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্বের আলোচনা 'সহজ হবে না।' ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সতর্ক করে বলেন, \"যুক্তরাজ্য ইইউ'র মান থেকে যত দূরে সরে যাবে, একক বাজারে এর প্রবেশাধিকার তত কমবে।\" ঐতিহাসিক সতর্কসংকেত? ব্রেক্সিটের পর ইইউ তাদের ঐক্যকে ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ব্রেক্সিটের আগের দিন তার বার্তায় স্পষ্ট করেই বলেছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের জন্য ব্রেক্সিট হচ্ছে ঐতিহাসিক সতর্কসংকেত যা প্রতিটি সদস্য দেশের মাথায় রাখতে হবে। তার কথায়, ইইউকে আরো গণতান্ত্রিক, সার্বভৌম এবং নাগরিকদের কাছাকাছি হতে হবে যাতে কোন অসুবিধা হলেও ইউরোপ ছেড়ে যাবার ইচ্ছা কারো না হয়। ব্রেক্সিটের পর মি. ম্যাক্রঁ বলেন, তিনি গভীরভাবে দুঃখিত, কিন্তু ব্রেক্সিট দুদেশের ভবিষ্যৎকে পৃথক করে দিতে পারবে না। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে আসছেন ব্রিটিশ এমপিরা বিবিসির কাতিয়া এ্যাডলার বলছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নজুড়েই ব্রাসেলসের ব্যাপারে নানা রকম সংশয় আছে - যাকে বলে ইউরো-স্কেপটিসিজম। কিন্তু ২০১৬ সালে ইইউ ছেড়ে যাবার যে চিন্তা ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন এবং অন্যত্র দেখা গিয়েছিল তা এখন প্রায় মিলিয়ে গেছে। তবে - কাতিয়া এ্যাডলার লিখছেন - ইতালির মাত্তিও সালভিনি এবং ফ্রান্সে মারিন লা পেনের মত ইউরো-সংশয়বাদী রাজনীতিকরা যুক্তরাজ্যের ঘটনাপ্রবাহ অনুসরণ করছেন। তারা মনে করেন ব্রেক্সিট যদি যুক্তরাজ্যে সাফল্য পায় তাহলে একদিন ফ্রেক্সিট, ইতালেক্সিট জাতীয় কথাবার্তা আবার ইউরোপের পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় উঠে আসতে শুরু করবে। ভবিষ্যতে কি আবার কাছাকাছি আসবে ব্রিটেন আর ইইউ? ভবিষ্যতে কি কখনো আবার যুক্তরাজ্য অন্য কোনভাবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হবে বলে কেউ মনে করেন? ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট কো-অর্ডিনেটর গাই ভেরহফস্টাট বলেন, তিনি নিশ্চিত করতে চাইবেন ইইউ যেন এমন এক প্রকল্প হয়ে ওঠে যে যুক্তরাজ্য ভবিষ্যতে আবার এর অংশ হতে চাইবে। স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যার জন কার্টিস বলছেন, যদিও ২০১৬ সালের গণভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ ভোটার ইইউ ত্যাগের পক্ষে ছিলেন, এবং ২০১৯ এর ডিসেম্বরের নির্বাচনেও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের শ্লোগান দিয়ে বরিস জনসন বিপুল বিজয় পেয়েছেন - তার পরও জনমত জরিপে গত দু'বছর ধরেই বেশিরভাগ মানুষ ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। গত নির্বাচনের আগে চালানো জরিপগুলোয় গড়ে ৫৩ শতাংশ ইইউতে থাকার পক্ষে এবং ৪৭ জন ইইউ ত্যাগের পক্ষে বলে দেখা গেছে, বলছেন অধ্যাপক কার্টিস। তিনি বলছেন, এমনকি ২০১৬ সালের মতো আরেকটি গণভোটও যদি আবার হয় তাহলেও ইইউতে থাকার পক্ষে ৫২ শতাংশ ভোট পড়বে বলে দেখা গেছে। তবে তার কথায়, এ ব্যবধান সামান্য, তাই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না - বরং এটাই বলা যায় যে ব্রেক্সিট প্রশ্নে ব্রিটেনের জনমত প্রায় সমানে সমানে বিভক্ত হয়ে আছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ঢাকার সিটি নির্বাচন কেমন হলো, বিবিসির চোখে ছয় দিনে হাসপাতাল ও যত আলোচিত ছবি অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? 'আধো আলো-ছায়াতে আমি ওদের দেখেছি'", "doc2": "Britaniyanın Aİ-ni tərk etməsi üçün danışıqlar ən azı iki il davam edəcək Qurumun bildirdiyinə görə Britaniya yazılı və ya şifahi bəyanatla çıxış etməklə razılaşmanın həyata keçirilməsi üçün iki illik müddəti müəyyənləşdirən 50-ci Maddəni tətbiq edə bilər. Britaniya baş naziri David Cameron-un bildirdiyinə görə, o, oktyabr ayınadək istefa verəcək və davamçısının danışıqları həyata keçirməsinə imkan yaradacaq. Lakin Aİ xarici işlər nazirləri danışıqların tezliklə başlamasını tələb edirlər. Referendumun nəticələri açıqlandıqdan sonra Britaniyanın necə və nə vaxt danışıqlara başlayacağı istiqamətində fərziyyələr yaranıb. Şənbə günü Almaniya kansleri Angela Merkel bildirib ki, Aİ Britaniya ilə danışıqlar prosesində “pis münasibət nümayiş etdirməməlidir”. Onun sözlərinə görə, digər ölkələrin Aİ-ni tərk etməsinin qarşısının alınması müzakirələr zamanı prioritet olmamalıdır. O, prosesin sürətlə həyata keçirilməsinə tələsdirməyin tərəfdarı olmadığını deyib. “Bu, sonsuza qədər davam etməməlidir, düzdür, lakin mən tələsməyin tərəfində deyiləm,” kansler əlavə edib. Britaniyanın Aİ-ni tərk etmək qərarı Fransa, Hollandiya və İtaliyadakı bəzi avroskeptik partiyaların da öz ölkələrində bənzər referendumların keçirilməsi tələbilə çıxış etməsinə səbəb olub. Bəzi Aİ siyasətçiləri dağılmanın qarşısını almaq üçün islahatların həyata keçirilməsinə çağırıblar. Cümə axşamı Britaniyada Avropa İttifaqını tərk etməklə bağlı keçirilmiş referendumda seçicilərin 51.9 faizi qurumu tərk etməyə səs verib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47124488", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47121705", "doc1": "সারা বিশ্ব জুড়ে, পুরুষের চেয়ে নারীদের আয়ুষ্কাল বেশি। কিন্তু নারী ও পুরুষের আয়ুষ্কাল আলাদাভাবে তুলে আনার পর দেখা যায় নারীদের গড় আয়ু ৭৪ বছর দুই মাস, অন্যদিকে পুরুষদের গড় আয়ু ৬৯ বছর আট মাস। ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ হাজার ৩৬৪ জন ব্যক্তিকে পাওয়া যায় যাদের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা মাত্র নয় হাজার ৯১৬২ জন। অন্যদিকে নারীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ২০২ জন। তাহলে নারীদের মধ্যে এমন কি আছে যার কারণে তারা পুরুষদের চাইতে গড়ে বেশি সময় বাঁচেন? আরো পড়ুন: নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক খাবার নিয়ে সাবধান হচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা ব্রিটেনে দক্ষিণ এশিয়ান নারীরা কেন ক্যান্সারের কথা গোপন করেন? এখন অনেক নারী ও পুরুষ তাদের শততম জন্মদিন পালন করতে পারছেন। এর কয়েকটি কারণ সনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা: ১. জিন মানুষের মৃত্যুহারের তালিকায় বর্তমানে ৪০টি দেশের তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে সুইডেন ও ফ্রান্সের ১৭৫১ এবং ১৮১৬ সালের পুরনো তথ্য পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু জাপান ও রাশিয়ার মতো দেশগুলির তথ্য ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে পাওয়া যায়। ওই ডাটাবেসে দেখা যায় যে, প্রতি বছর সব দেশেই নারীর গড় আয়ু পুরুষের গড় আয়ুকে ছাড়িয়ে গেছে। জেনেটিক গঠনের কারণেই পুরুষরা এই অগ্নিরেখায় আছে বলে মনে করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশ-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি: কী থাকছে চুক্তিতে? কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি মাংস খায়? এক মাস নিজেদের দেহের লোম কামান নি যে নারীরা কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর ধর্ণা: কে এই রাজীব কুমার? নারীদের দুটি এক্স ক্রোমোজম থাকে। ২. ভ্রূণ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ডেভিড জেমস বলেছেন, \" নারী ভ্রূণের চেয়ে পুরুষ ভ্রূণ বেশি হারে মারা যায়।\" এর সম্ভাব্য কারণ নির্ভর করে লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোমগুলোর কার্যকলাপের ওপর। XX হল নারী ক্রোমোজোম এবং XY হল পুরুষ ক্রোমোজোম। এই ক্রোমোজোমগুলো আমাদের জিন ধারণ করে থাকে। এক্স ক্রোমোজোমগুলোতে প্রচুর জিন রয়েছে যা আপনাকে জীবিত থাকতে সহায়তা করে। বিবিসি এর ক্রাউড সায়েন্স রেডিও প্রোগ্রামের সাথে কথা বলার সময় ডেভিড জেমস বলেন, \"যদি আপনার এক্স ক্রোমোজোমে জেনেটিক ত্রুটি থাকে তাহলে একজন নারীর ব্যাকআপ হিসেবে আরেকটা এক্স ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু পুরুষের এক্স ক্রোমোজোম একটাই থাকায় তাদের ব্যাকআপের কোন সুযোগ নেই।\" \"বেশি বয়সে গর্ভধারণের কারণে মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুর মারা যাওয়ার হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার হার ছেলে শিশুদের বেলায় ১৪ শতাংশ বেশি। ছেলে শিশুরা সাধারণত আকারে বড় হয়ে থাকে এবং জন্মের সময় বেশি আঘাত পাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে,\" এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লর্না হ্যারিস বলেছেন। তবে পাখিদের মধ্যে পুরুষের এক্স ক্রোমোজোমের দুটি কপি থাকে। এ কারণে তারা মেয়ে পাখিদের চেয়ে বেশি সময় বাঁচে। পাখিদের মধ্যে পুরুষের এক্স ক্রোমোজোমের দুটি কপি থাকে। এ কারণে তারা মেয়ে পাখিদের চেয়ে বেশি সময় বাঁচে। ৩. হরমোন বয়:সন্ধিকালের সময় শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে ছেলে ও মেয়েরা পুরুষ ও নারীতে পরিণত হয়। টেস্টোস্টেরন এমন একটি হরমোন যেটা মূলত পুরুষের বৈশিষ্ট্যগুলো ধারণ করে। যেমন: দীর্ঘকায় দেহ, শক্তিশালী পেশি, ভারী কণ্ঠ এবং লোমশ শরীর ইত্যাদি। সাধারণত বয়:সন্ধিকালের শেষ সময়টার দিকে ছেলেদের শরীরে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন নি:সরণ হয়। এ সময় তাদের মৃত্যুর হার তুঙ্গে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের এই হরমোন বেশি থাকার কারণে তারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে উৎসাহী হয়, যেমন লড়াই করা, খুব দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল বা গাড়ি ড্রাইভিং এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও পুরুষের মধ্যে বেশি থাকে। এই হরমোনের কারণেই যেকোনো দুর্ঘটনায় পুরুষদের মৃত্যুর মুখে পড়ার হার বেশি। যুদ্ধের সময় নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি মারা যান। ১৯ শতকের চৌসুন রাজবংশের আমলে সাম্রাজ্যিক আদালতের কিছু বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি বিশ্লেষণ করেন কোরিয়ান বিজ্ঞানী হান-নাম পার্ক । সেখানে তিনি ৮১ জন নপুংসক ব্যক্তির ওপর বিস্তারিত গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারেন যে তাদের প্রত্যেকের যৌনাঙ্গ বয়:সন্ধির আগেই অপসারণ করা হয়েছিল। তার বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে, ওই নপুংসক ব্যক্তিরা প্রায় ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। যেখানে আদালতের অন্য পুরুষদের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫০ বছর। এছাড়া ওই ৮১ জনের মধ্যে তিনজন তাদের শততম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন বলেও জানা গেছে। এ থেকে ধারণা করা যায় যে, যৌনাঙ্গ-বিহীন পুরুষ সেটা মানুষ হোক বা কোন পশুপাখি, তারা বেশি সময় বাঁচে। এছাড়া নারীদের যৌন হরমোন এস্ট্রোজেনকে \"অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট\" হিসাবেও দেখা হয়। এর মানে হল যে এটি শরীরের বিষাক্ত রাসায়নিকগুলিকে সরিয়ে দেয় এবং কোষের ওপর চাপ কমায়। তবে পশুপাখিদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, যেসব নারী প্রজাতির এস্ট্রোজেনের অভাব রয়েছে তাদের বেঁচে থাকার হার কম। অর্থাৎ যেসব নারীর যৌন অস্ত্রোপচার হয়নি তারা বেশিদিন বাঁচেন। এখানে বিষয়টি পুরুষদের পুরোই বিপরীত। স্পেনের গবেষকরা ২০০৫ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে এস্ট্রোজেন হরমোন আয়ুষ্কালের সঙ্গে জড়িত জিন এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইমের কার্যকলাপ বাড়িয়ে দেয়। এস্ট্রোজেন শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নির্মূল করতে সেইসঙ্গে হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেন শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নির্মূল করতে সেইসঙ্গে হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে। ৪. অভ্যাস এবং আচরণ যেসব এলাকা সংঘাতপূর্ণ, সেসব এলাকায় থাকা পুরুষদের আয়ুষ্কালও কমতে থাকে। এছাড়া যেসব এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা অপর্যাপ্ত, সেখানে অনেক নারী শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ওপরও নির্ভর করে কে কতো বছর বাঁচবে সেটা। যেমন রাশিয়ান পুরুষ, রাশিয়ার নারীদের চেয়ে ১৩ বছর আগে মারা যায়, কারণ রাশিয়ার পুরুষরা প্রচুর মদপান করে থাকে। পুরুষদের চাইতে নারীরা বেশি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ৫. দীর্ঘতর কিন্তু সুস্বাস্থ্যময় নয় এখন যারা ভাবছেন নারীরা এই আয়ুর ক্ষেত্রে একতরফা কোন সুবিধা পাচ্ছে, তাদের এটাও জেনে রাখা প্রয়োজন যে নারীরা দীর্ঘকাল বেঁচে থাকেন ঠিকই তবে সেটা সুস্থতার সাথে নয়। জীবনের এক পর্যায়ে তারা নানা ধরণের অসুখ বিসুখে জর্জরিত থাকে। বিভিন্ন দেশে ১৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীরা, একই বয়সের পুরুষদের তুলনায় বেশি ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন। অ্যালাব্যামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন এন অস্টাড এবং ক্যাথলিন ই ফিশ্চার কেটি বায়োমেডিকেল জার্নাল \"সেল প্রেস\"এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বলেছেন যে, \"পশ্চিমা সমাজে নারীরা ডাক্তার দেখান বেশি, ঔষধ গ্রহণ করেন বেশি, এছাড়া কর্মক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে নারীরা বেশি ছুটি কাটান এবং পুরুষদের তুলনায় হাসপাতালে বেশি সময় থাকেন। জীবনের একটি পর্যায়ে নারীদের শারীরিক সীমাবদ্ধতার সে প্রবণতা দেখা যায় সেটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশসহ , চীন, মিশর, গুয়াতেমালা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং তিউনিসিয়া। ২০৩০ সাল নাগাদ নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ুষ্কালের ফারাক কমে আসবে। ৬. ব্যবধান ছোট হয়ে আসছে: সাম্প্রতিক গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, ভবিষ্যতে নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ুষ্কালের এই ব্যবধান আর থাকবেনা। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ুষ্কালের ফারাক শুধুমাত্র এক বছর নয় মাস থাকবে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের মতে, যুক্তরাজ্যে আজ জন্ম নেয়া একটি ছেলে শিশু গড়ে ৭৯ বছর দুই মাস এবং মেয়ে শিশুর ৮২ বছর নয় মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কাজ বিজনেস স্কুলের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক লেস মেহিউয়ের নেতৃত্বে আরও একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পুরুষ ও নারীর জীবনকাল ২০২৩ সাল নাগাদ সমান সমান হবে। তিনি বলেন, \"আমরা হৃদরোগ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রেও বড় ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছি, সাধারণত পুরুষরা এই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় বেশি।\" এছাড়া যেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত মৃত্যু কমছে, সেটাও পুরুষদের গড় আয়ুতে অতিরিক্ত বছর যোগ করতে সাহায্য করছে। নিজের হৃদপিণ্ড ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ান যে নারী", "doc2": "Kişilərlərə nisbətən qadınların ömür uzunluğu bütün dünya boyu, o cümlədən Nepalda da daha böyükdür. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatına (ÜST) görə, dünyada əhalinin ortalama ömür uzunluğu 2016-cı ildə 72 ilə bərabər olub. Amma qadınlarla kişilərin ömür uzunluğu arasında fərq var: qadınlar üçün bu göstərici 74 il 2 aydır, kişilər üçün isə - 69 il 8 ay. 100 yaşı tamam olanların arasında qadınların sayca daha çox olması ehtimalı böyükdür 2010-cu ilin statistikasına əsasən, həmin ildə ABŞ-da yaşı 100-dən çox olan 53364 insan olub. Onlardan yalnız 9162 nəfər kişi olub, 44202 nəfər - qadın. Görəsən, qadınların kişilərdən daha çox yaşamasının səbəbi nədir? 1. Genlər Dünya boyu bütün ölkələrdə statistik göstəricilər qadınların kişilərdən daha uzun ömür sürdüklərini sübut edir. Göründüyü kimi, bu fərq genetika ilə bağlı ola bilər. Qadınların iki dəst X xromosomları var Rüşeymlər \"Kişi rüşeymləri qadın rüşeymlərilə müqayisədə daha çox sayda ölürlər,\" - University College London-un professoru David Gems deyir. Bunun mümkün səbəblərindən biri cinsiyyəti müəyyən edən xromosomlarla bağlı ola bilər. Qadınların xromsomları XX kimi təsvir olunursa, kişilərdə bu XY kimidir. Xromosomların tərkibində genlər var. X xromosomlarında insanı yaşadan xeyli genlər var. Erkək quşların X xromosomlarının əlavə ehtiyatı var \"Əgər siz qadınsınızsa və sizin X xromosomunuzda bir qüsur varsa onda ehtiyat resursunuz var. Amma əgər kişisinizsə, onda belə resursunuz yoxdur,\" - David Gems BBC-yə deyib. \"Hamiləlik dövrünün son mərhələlərində oğlan körpələrinin ölüm ehtimalı 20-30 faiz təşkil edir. Eləcə də onların vaxtından əvvəl doğulması ehtimalı 14 faiz daha yüksəkdir. Oğlan körpələr daha iri olur və doğuş zamanı onların zədə alması riski daha böyükdür\", - Exeter Universitetinin müəlliməsi Lorna Harries deyir. Amma, misal üçün, quş erkəklərin isə X xromosomlarının ehtiyatı da olur, odur ki, onlar dişi quşlardan daha çox yaşayır. 2. Hormonlar Hormonların təsiri nəticəsində yeniyetməlik dövründə oğlanlar və qızlar kişi və qadına çevrilir. Müharibələr zamanı kişilər daha çox sayda ölür Testosteron hormonu qalın səs və tüklü sinə kimi kişi xüsusiyyətlərinə cavabdehdir, bədəni daha iri və daha güclü edir. Yeniyetməlik dövrünün son mərhələlərində testosteron artdıqca kişilər arasında ölüm faizi də artır. Ekspertlər bunun səbəbini kişilərin dava-dalaşa, avtomobil və velosiped sürməyə, intihara daha çox meyl göstərmələrilə izah edirlər. Müxtəlif araşdırmalardan belə nəticəyə gəlmək olar ki, xayasız insanlar (və heyvanlar) daha çox yaşayır. Digər tərəfdən isə qadın cinsi xüsusiyyətlərinə cavabdeh olan estrogen hormonu \"antioksidant\" kimi də təsirə malikdir, yəni bu hormon hüceyrələri zəhərli kimyəvi maddələrdən təmizləyir. Heyvanlar üzərində aparılan təcrübələr göstərib ki, estrogen çatışmazlığı olan dişi heyvanların ömrü belə qüsuru olmayan dişi heyvanların ömründən daha qısa olub. Qadın hormonu estrogen ürək xəstəliklərinə gətirən pis xolesterollun qarşısını almağa kömək edir. Estrogen eləcə də pis xolesterolu yox etdiyindən bu hormon ürək xəstələrindən, müəyyən mənada qoruyucu vasitə rolunu da oynayır. 3. İş və həyat tərzi Münaqişələr baş verən ərazilərdə kişilərin ömür uzunluğu qısalır. Səhiyyə sistemi yüksək səviyyədə olmayan ərazilərdə isə qadınlar çox vaxt doğuş zamanı ölürlər. Siqaret, spirtli içki və həddən artıq yemək yeyilməsi ömür uzunluğunun gender fərginin ölkədən ölkəyə nəzərəçarpan dərəcədə dəyişməsinin səbəblərini izah edir. Misal üçün, Rusiyada spirtli içkilər kişilərin ömrünü orta hesabla 13 il qısaldır. Uzun, amma sağlam ömür? Uzun ömür yaşamağın fəsadları da var. Qadınlar daha uzun ömür sürsələr də, xəstəliklərdən daha çox əziyyət çəkirlər. Xüsusən də, yaşlanarkən. Kişilərlə müqayisədə qadınlar həkimlərə daha tez-tez müraciət edirlər Müxtəlif ölkələrdə 16-60 yaş arası qadınlar eyni yaş intervalında olan kişilərlə müqayisədə həkimlərə daha tez-tez baş çəkirlər. Fərq azalmaqdadır Bu yaxınlarda keçirilmiş tədqiqatlar göstərib ki, kişilərlə qadınların ömür uzunluğu arasında fərq yaxın gələcəkdə azalacaq. Britaniyada yaxın 20 ərzində kişilərlə qadınların ömür uzunluğu müddətləri arasındakı fərqin azalacağı gözlənilir. Imperial College London tərəfindən keçirilmiş tədqiqatın nəticələrinə əsasən, Britaniyada qadınlarla kişilərin ömür uzunluğu arasında fərq 2030-cu il üçün 1 il 9 ay təşkil edəcək. Britaniya Milli Statistika İdarəsinin məlumatına əsasən, bu gün Britaniyada doğulmuş körpə oğlan uşağının 79 il 2 ay yaşayacağı proqnozlaşdırılır, körpə qız üçün isə proqnoz 82 il 9 aydır. Cass Business School-da statistika professoru Les Mayhew tərəfindən aparılmış tədqiqatın nəticələrinə əsasən, kişilərin və qadınların ömür uzunluğu 2032 il üçün bərabərləşəcək. Les Mayhew Guardian qəzetinə bildirib ki, \"tütün və spirtli içkilərin istehlakının azalması, ürək xəstəliklərinin qarşısının alınmasında əldə edilən böyük irəliləyiş\" kişilərin ömür uzunluğunun artmasına yol açır. Yol-nəqliyyat qəzalarının sayı azalan ölkələrdə də bu amil kişilərin ömür uzunluğunun artmasına təsir edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49906726", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43800429", "doc1": "মোহাম্মদ বিন সালমান কিন্তু একই সাথে যুবরাজ মোহাম্মদ - যাকে আরো ডাকা হয় এমবিএস নামে - সৌদি আরবকে টেনে এনেছেন ইয়েমেনের যুদ্ধে। তিনি কারারুদ্ধ করেছেন নারী অধিকারের জন্য আন্দোলনকারীদের, এমনকি ধর্মীয় নেতা এবং ব্লগারদেরও। শুধু তাই নয়, এক বছর আগে তার সমালোচক জামাল খাসোগজিকে যেভাবে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় - তার পেছনেও তিনি ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়। এতসব আলোচনা-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই এমবিএস লোকটি আসলে কেমন? মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পর্কে এক দীর্ঘ প্রতিবেদন লিখেছেন বিবিসির ফ্র্যাংক গার্ডনার, সেখানে তিনি বর্ণনা করছেন তার সাথে প্রথম সাক্ষাতের কথা। বলে রাখা দরকার, ফ্র্যাংক গার্ডনার ২০০৪ সালে যখন রিয়াদে একদল বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তখন সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ ছিলেন রিয়াদের গভর্নর। বন্দুকধারীদের গুলিতে আইরিশ ক্যামেরাম্যান সাইমন কাম্বার্স নিহত হন। তারা ফ্র্যাংক গার্ডনারের পায়ে ৬টি গুলি করে এবং তাকে মৃত ভেবে চলে যায়। রিয়াদের গভর্নর যুবরাজ সালমান বিন আবদুলআজিজ সেসময় হাসপাতালে ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা আহত ফ্র্যাংক গার্ডনারকে দেখতে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে এই সালমান বিন আবদুলআজিজ যখন সৌদি আরবের যুবরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তখন তার সাথে জেদ্দায় প্রাসাদে সাক্ষাৎ হয় ফ্র্যাংক গার্ডনারের। তার স্বাস্থ্য তখনই বেশ ভেঙে পড়েছে, হাতে ছিল লাঠি। তিনি বলছিলেন, লন্ডন শহর তার কত প্রিয়। ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন, তার আবছাভাবে মনে পড়ে ওই কক্ষেই তার পেছনে বসা ছিলেন একজন যুবক, যে কথাবার্তা হচ্ছিল তার নোট নিচ্ছিলেন তিনি। গাড়ি চালাচ্ছেন একজন সৌদি নারী হয়তো যুবরাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি হবেন ইনি - ভেবেছিলেন ফ্র্যাংক গার্ডনার। তিনি দেখলেন যুবকটি দীর্ঘকায়, পরিচ্ছন্নভাবে ছাঁটা দাড়ি, এবং ঐতিহ্যবাহী সৌদি আলখাল্লা পরা, তাতে সোনার এমব্রয়ডারি - যা তার উচ্চ অবস্থান নির্দেশ করে। বৈঠক শেষ হবার পর ফ্র্যাংক গার্ডনার নিজেই তার সাথে পরিচিত হতে চাইলেন। তারা হাত মেলালেন। যুবকটি বললেন,\"আমি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, একজন আইনজীবী। আপনি এতক্ষণ আমার পিতার সাথে কথা বলছিলেন।\" ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন: \"আমার কোন ধারণাই ছিল না যে ২৮ বছরের এই মৃদুভাষী যুবকটিই কিছুকাল পরে আরব বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং বিতর্কিত নেতাদের একজন হয়ে উঠবেন।\" রাতের পার্টিতে অভাবনীয় সব দৃশ্য রাজধানী রিয়াদের উপকণ্ঠে দিরিয়ায় ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি একটি রাত। একটি মিলনায়তন। এখানে রিয়াদের ফরমূলা ই কার রেসিংএর উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা পোশাক পরা বিপুল সংখ্যক সৌদি তরুণ-তরুণীর ভিড় জমেছে। মঞ্চের ওপর ঝিলিক দিচ্ছে লেজার আর আলোর খেলা। অনেক তরুণ-তরুণী তাদের স্মার্টফোন উঁচিয়ে ধরে ছবি তুলছে। এরা সবাই এসেছেন তাদের অত্যন্ত ব্যয়বহুল মডেলের স্পোর্টস কার নিয়ে। তাদের অনেকেই মেয়ে, এবং তারা সৌদি যুবরাজ সালমানের দেয়া গাড়ি চালানোর অধিকারের পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছেন। এ অনুষ্ঠানে ডিজে হচ্ছেন একজন ফরাসী ডেভিড গোয়েটা। এখানে গান গাইবেন এনরিক ইগ্লেসিয়াস আর 'ব্ল্যাক আইড পিজ'। এই হচ্ছে নতুন সৌদি আরব। কঠোর শুকনো সংস্কৃতি বিদায় নিয়েছে, বিনোদন নিয়েছে তার জায়গা। যুবরাজ-নির্দেশিত আধুনিকায়ন পুরোদমে চলছে। সৌদি আরবে এমবিএস এখনো জনপ্রিয় যারা গত ৪০ বছর ধরে সৌদি আরবকে দেখছেন - তাদের কাছে এই পরিবর্তনকে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। পার্টি, অবাধ মেলামেশা সৌদি আরবে একটি পার্টিতে নারীপুরুষের এরকম অবাধ মেলামেশা মাত্র কিছুকাল আগেও ছিল অচিন্তনীয়। রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা এবং মুতাওয়া নামে ধর্মীয় পুলিশের কড়া নজরদারিতে এগুলো ছিল নিষিদ্ধ। মুতাওয়া পুলিশ প্রায়ই রিয়াদের শিশা ক্যাফে বন্ধ করে দিতো, ইসলামী শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী দোকানপাটে গান-বাজনা বাজানো বন্ধ করার নির্দেশ দিতো। অনেক বছর ধরেই সেখানে সিনেমা, মেয়েদের গাড়ি চালানো, প্রকাশ্য বিনোদন বন্ধ ছিল। বাদশাহের অনুমতি নিয়ে মোহাম্মদ বিন-সালমান সৌদি আরবের এই ইমেজ পাল্টে দিতে শুরু করেছেন। অনেকের ভাষায় 'মডারেট ইসলামের' নীতি নিয়েছেন এমবিএস এবং তিনি প্রকাশ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছেন, এমনটি কপ্টিক খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি মিলেছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ৩৪ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ বিন সালমানের জনপ্রিয়তাও হু হু করে বেড়েছে। একজন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীর কথায়, যুবরাজ নিজেও হটডগের মতো ফাস্টফুড, ডায়েট কোক এসব পছন্দ করেন। তিনি 'কল অব ডিউটি' নামের কম্পিউটার গেম খেলতেন। তিনি একজন প্রযুক্তি-ভক্ত। অল্পবয়েসী সৌদি মেয়েরা তার সাথে সেলফি তুলতে চাইলেও তিনি বাধা দেন নি। বিরোধিতা বরদাস্ত করেন না এমবিএস অনেকেই বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী । তবে তার ব্যক্তিত্বের মধ্যে অশুভ কিছু একটার ইঙ্গিতও আছে। সহজ কথায় তিনি বিরোধিতা বরদাস্ত করতে পারেন না। ব্লগার, ধর্মীয় নেতা, নারী অধিকারকর্মী - তিনি রক্ষণশীল বা উদারপন্থী যাই হোন না কেন - যুবরাজের বিরোধিতা করলেই গ্রেফতার হয়েছেন। এমবিএস মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়েছেন, আবার তিনিই গাড়ি চালানো বা অন্য কোন দাবিতে আন্দোলনকারী নারীদের আটক করেছেন। নারী অধিকার-কর্মীদের অনেকেই বন্দী অবস্থায় যৌন নিপীড়নসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন - তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। এদের অনেকেই ছাড়া পাবার পর বিদেশে অবস্থান করছেন। জামাল খাসোগজি ওয়ালিদ আল হাথলুল নামের একজন নারী অধিকার কর্মী বলেছেন, তাকে বন্দী অবস্থায় এমবিএসের উপদেষ্টা সাউদ আল-কাহতানি স্বয়ং নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয় পুরুষ ভিন্নমতাবলম্বীরাও একইভাবে আটক ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই বলেছেন, তিনি স্বীকার করেন যে সৌদি আরবে অনেক লোক কারাবন্দী আছেন, কিন্তু একটি দেশে এত ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার চালাতে গেলে কিছু মূল্য দিতেই হবে। কিভাবে এত ক্ষমতাশালী হলেন এমবিএস? মোহাম্মদ বিন সালমান ছিলেন বাদশাহের ১৩ জন পুত্রের একজন। সৌদি আরবে আনুমানিক প্রায় ৫ হাজার যুবরাজের মতো তারও প্রাথমিক জীবন কেটেছে অভাবনীয় আরাম-আয়েশ আর বিলাসিতার মধ্যে। রিয়াদের মাদহার এলাকায় প্রাসাদে বড় হন তিনি। তার চারপাশে থাকতো ভৃত্য, রাঁধুনি, ড্রাইভার এবং অন্য কর্মচারীর দল, অনেকেই অন্য দেশ থেকে আসা। তার গৃহশিক্ষকদের একজন রশিদ সেক্কাই বলেছেন, তাকে প্রতিদিন একজন ড্রাইভার এসে বাড়ি থেকে প্রাসাদে নিয়ে যেতো। কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে অন্য যুবরাজদের মতো ব্রিটেনে বা আমেরিকায় না গিয়ে কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। এটা অনেকের মতে তার জন্য ভালো এবং খারাপ দুইই হয়েছে। এতে তিনি ঐতিহ্যানুগ 'দেশের ছেলে' হয়ে বেড়ে উঠেছেন, আবার অন্য দিকে অন্যান্য প্রিন্সদের মতো পশ্চিমা মানসিকতা সম্পর্কে গভীর বোধ অর্জন করতে পারেন নি। অনেক দিন পর্যন্ত তিনি ভালো ইংরেজিও বলতে পারতেন না। একজন মাত্র স্ত্রী সৌদি আরবে একজন পুরুষের চারজন পর্যন্ত স্ত্রী থাকার অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমানে স্ত্রী মাত্র একজন। তিনি তার সম্পর্কীয় বোন প্রিন্সেস সারা বিনতে মাশুর বিন আবদুলআজিজ আল সউদকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুই ছেলে, দুই মেয়ে। তার নিজ পরিবারকে এমবিএস একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে রেখেছেন। ক্ষমতায় তার উত্থানও নাটকীয় তার পিতা তাকে ধীরে ধীরে ক্ষমতার জন্য তৈরি করেছেন, দেখিয়েছেন রিয়াদের গভর্নর হিসেবে কিভাবে বিবাদ মেটাতে হয়, সমঝোতা করতে হয়, সৌদি শাসনকাজ চালানোর কৌশল কী। এর পর পদোন্নতি পেতে পেতে তিনি হন একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আর ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তার পিতা সালমান ৮০ বছর বয়েসে বাদশাহ হবার পরই তিনি এমবিএসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রাজসভার মহাসচিব নিয়োগ করেন। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের বিমান হামলা এ সময় এমবিএসের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পরিচালনা - যা এখন এক রক্তাক্ত দীর্ঘ সংঘাতে পরিণত হয়েছে। এর আসল লক্ষ্য ছিল ইয়েমেনে সৌদি সমর্থক সরকারকে ক্ষমতায় রাখা, এবং হুতিদের পেছনে সমর্থনদাতা ইরানকে একটা শক্ত বার্তা দেয়া। সে লক্ষ্য পূরণে অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। বরং ইয়েমেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এর পর ২০১৭ সালে এক রক্তপাতহীন প্রাসাদ অভ্যুত্থান ঘটে যায়। বাদশাহ সালমান তখনকার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেকে পাঠান এবং তাকে বলা হয় পদত্যাগ করতে - নতুন যুবরাজ হন মোহাম্মদ বিন সালমান। মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন আমেরিকানদের আস্থাভাজন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সন্ত্রাসদমনের প্রধান হিসেবে আল-কায়দার বিদ্রোহী তৎপরতা দমনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: 'পাথর লাগলো কপালে, জখম অবস্থায় বাসায় আসলাম' গান্ধী: বিদ্রোহী কিশোর থেকে 'ভারতের জাতির জনক' ফারাক্কা: যে ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগি করে ভারত-বাংলাদেশ যে কারণে নোয়াখালী এসেছিলেন মোহনদাস গান্ধী তবে ২০০৯ সালে আল-কায়েদার এক হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেও তিনি পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেন নি বলে শোনা যায়। সৌদি আরবে রাজার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত, চূড়ান্ত। তাই তিনি যখন এমবিএসকে যুবরাজ অর্থাৎ তার উত্তরাধিকারী বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন মোহাম্মদ বিন নায়েফের মঞ্চ থেকে সম্পূর্ণ বিদায় নেয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকলো না। এমবিএস ক্ষমতা সংহত করলেন যেভাবে এর পর এমবিএস যা করলেন তা সারা দুনিয়ার আলোচিত বিষয়ে পরিণত হলো। তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে ২০০ জন প্রিন্স, ব্যবসায়ী এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ লোককে গ্রেফতার করে কোন অভিযোগ ছাড়াই তাদের রিয়াদের রিৎজ কার্লটন হোটেলে আটকে রাখলেন । একে বলা হলো দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, আটকদের বলা হলো মুক্তি পেতে হলে তাদের শত শত কোটি রিয়ালের দুর্নীতিলব্ধ অর্থ রাজকোষে দিতে হবে। সমালোচকরা বলেন, এটা আসলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ছিল না - এটা ছিল এমবিএসকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন এমন যে কাউকে নিষ্ক্রিয় করা। বাদশা আবদুল্লাহর দিকে রাজপরিবারের যে শাখা - সেখানকার প্রিন্সদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হলো। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সশস্ত্রবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল গার্ড - তিন সংস্থারই নিয়ন্ত্রণ আনা হলো এমবিএসের হাতে। তার হাতে তখন সর্বৈব ক্ষমতা। রিয়াদের রিৎজ কার্লটন হোটেল জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ড ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের বিমান হামলায় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে, শত শত লোক বন্দী হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অনেকের সমর্থন সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে চলে যায় একজন সাংবাদিকের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। জামাল খাসোগজি ছিলেন একজন সুপরিচিত লেখক এবং এমবিএসের কড়া সমালোচক। গত বছর ২রা অক্টোবর দুপুর বেলা তিনি তার বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তুাম্বুলের লেভেন্ট এলাকায় সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকেছিলেন। ঢোকার কিছু পরই রিয়াদ থেকে পাঠানো একদল নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা এজেন্ট তাকে হত্যা করে, তার মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে কোথাও নিয়ে যায় - যার কোন হদিশই পাওয়া যায় নি। যদিও সরকারিভাবে সৌদি আরব তা অস্বীকার করেছে, কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে যে মি. খাসোগজির মুখ বন্ধ করার এই অপারেশনের ব্যাপারে এমবিএস অন্তত আগে থেকেই জানতেন। সিআইএ মনে করে - তিনিই হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বর মাসে এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ এ ঘটনার 'দায়িত্ব' নিয়েছেন কিন্তু তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনার পেছনে একজন মূল সন্দেহভাজন হচ্ছেন এমবিএসের ঘনিষ্ঠতম উপদেষ্টাদের একজন সাউদ আল-কাহতানি। খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পরপরই বাদশাহ সালমানের আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বলা হয়, এমবিএসের নীতির কেউ বিরোধিতা করলে - তাদের ওপর নানাভাবে সাইবার নজরদারি ও হুমকির কার্যক্রমের পেছনে ছিলেন এই আল-কাহতানি। জামাল খাসোগজিও জানতেন, তিনি বিপদে আছেন। খাসোগজি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ হয়েছে বিভিন্ন দেশে খাসোগজি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী সাংবাদিক। তিনি কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে, সমালোচনা করতেন এমবিএসের স্বৈরাচারী স্টাইলের। তার টুইটার ফলোয়ার ছিলেন ১৬ লক্ষ। খাসোগজি এবং অন্য কয়েকজন মিলে একটি আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা করছিলেন -আরব বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। ফলে এমবিএস এবং তার উপদেষ্টাদের জন্য তার হুমকি হয়ে ওঠারই কথা, যদিও যুবরাজ তা অস্বীকার করেন। এর আগে সৌদি প্রশাসন 'বিপথগামী' নাগরিক বা যুবরাজদের বিদেশ থেকে অপহরণ করে রিয়াদে নিয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হত্যা নয়। বিদেশের একটি শহরে এরকম একটি হত্যাকাণ্ড আগেকার ঘটনাবলীর সাথে মেলে না। ফলে খাসোগজি হত্যাকাণ্ড হয়ে দাঁড়ায় এক আন্তর্জাতিক কেলেংকারি। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে তুরস্কের গোয়েন্দারা গোপন মাইক বসিয়েছিল। হত্যাকান্ডের টেপ সিআইএ এবং অন্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা শুনেছে। কিন্তু জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের সাথে এমবিএসের সংশ্লিষ্টতার কোন অকাট্য প্রমাণ এখনো কারো হাতে নেই। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে যে এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটা 'রোগ অপারেশন' অর্থাৎ কিছু অসৎ-নীতিহীন কর্মকর্তার কাজ। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোতে অনেক বছর থাকার ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, এ অঞ্চলে 'রোগ অপারেশন' বলে কিছু নেই। ওপরের নির্দেশ ছাড়া সেখানে কোন কাজই হয় না। আল-কাহতানি নিজেই ২০১৮ সালে আগস্ট মাসে এক অর্থপূর্ণ টুইটে বলেন, 'আমি বাদশাহ এবং যুবরাজের একজন কর্মচারী, তাদেরই আদেশ পালন করি। এই খুনের সাথে বাদশাহর সম্পর্কের আভাস কেউ দেয় নি। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাদশাহর প্রিয় পুত্রের ঘনিষ্ঠ চক্রের মধ্যেই হয়েছিল বলে মনে করা হয়। একজন সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এমবিএস ব্যাপারটা জানতেন না এটা কল্পনাই করা যায় না। তাহলে আল-কাহতানি কোথায় আছেন? রিয়াদে এবং লন্ডনে নানা জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আল-কাহতানি এখন অন্তরালে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হন নি, এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নানা প্রকল্পে তিনি জড়িত আছেন। সাউদ আল কাহতানি এ ঘটনায় ১১ জনের বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ অভিযুক্ত হলেন কিনা বা বিচার কতদিন চলবে, এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানা যায় না। এই বিচারের ফল যাই হোক একটা কথা ঠিক যে খাসোগজি হত্যাকাণ্ড সৌদি আরব এবং এমবিএসের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এমবিএসের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি আগে পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএসকে এক দূরদর্শী সংস্কারক নেতা হিসেবে যেভাবে তুলে ধরা হতো - তার পরিবর্তে এখন তাকে অন্তত প্রকাশ্যে অনেকটা এড়িয়ে চলা হচ্ছে। একজন ভাষ্যকার বলছেন, খাসোগজি হত্যাকাণ্ড সৌদি আরবকে 'ঘাতকদের ক্লাবে' তালিকাভুক্ত করেছে, যেন এমবিএস আর গাদ্দাফি, সাদ্দাম বা আসাদ একই শ্রেণীর ব্যক্তি। কিন্তু সৌদি আরব কখনো এই ক্লাবের অংশ ছিল না। এ ঘটনার পর মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের যুক্তি দেখিয়ে তা আটকে দিয়েছেন। গণতন্ত্রী ননমোহাম্মদ বিন সালমান মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি আধিপত্যের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরব কৌশলগতভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তা ছাড়া এদেশের বিরাট বাজার এবং এখানে ব্যবসার সুযোগ খুবই লোভনীয় পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে এমবিএস এমবিএস সৌদি আরবে নিওম নামে লোহিত সাগরের তীরে যে নতুন বিনিয়োগ নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন তা কতখানি সফল হবে তা নিয়ে অনেকের সংশয় আছে। তবে সৌদি আরবের ভেতরে যুবরাজ সালমান এখনো খুবই জনপ্রিয়। একজন ভাষ্যকার বলছেন, '১৬ থেকে ২৫ বছরের সৌদিরা তাকে একজন হিরো বলে মনে করে যিনি দেশে পরিবর্তন এনেছেন, ধর্মীয় মৌলবাদীদের ক্ষমতা খর্ব করেছেন।' এমবিএস সৌদি আরবে গণতন্ত্র নিয়ে আসবেন, এমন কোন লক্ষণ কোথাও নেই। তার ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, খাসোগজি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে ঝড় উঠেছে তা একসময় ঝিমিয়ে পড়বে। হয়তো তাদের ধারণাই ঠিক। এক দিক থেকে বলা যায়, এমবিএস-ই সৌদি আরব, তিনি কোন গণতন্ত্রী নন, কোন রাজনৈতিক সংস্কারকও নন - অনেকের চোখে তিনি একজন একনায়ক মাত্র। তবে এটাও ঠিক যে তিনি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক আধুনিকায়ন করছেন। তা ছাড়া তার বয়েস মাত্র ৩৪ - তাই তিনি যখন বাদশাহ হবেন, তখন তিনি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এই দেশকে ৫০ বছর ধরে শাসন করবেন। আরো পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের হানিমুনের দিন শেষ? কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিক সৌদি প্রিন্স?", "doc2": "Paytaxt Riyaddakı lüks Ritz-Carlton otelində keçirilən Səudiyyə moda həftəsi də bu sosial islahatların bir parçası olub. New York, Paris və Milandakı moda həftələrindən fərqli olaraq Riyadda 10-14 aprel tarixləri arasında baş tutan dəfilələrə yalnız qadın izləyicilər qatıla bilib. Riyadda keçirilən moda həftəsi Moda həftəsinin keçirildiyi Ritz-Carlton oteli bir neçə ay öncə korrupsiyada günahlandırılıb həbs olunan Səudiyyə şahzadələrinin və yüksək rütbəli məmurların saxlandığı yer olub. Bu dəfə Səudiyyə dizaynerləri, avropalı moda ekspertləri və qadınlar otelin qızılı bəzədilmiş dəhlizlərində söhbət ediblər. Jean Paul Gaultier ve Roberto Cavallinin də daxil olduğu dünyaca məşhur brendlərin nümayiş olunduğu tədbirə Braziliya, Livan, Rusiya, ABŞ və Birləşmiş Ərəb Əmirliklərindən dizaynerlər gəlib. New York Times qəzetinə danışan bir Səudiyyə mütəxəssisi \"qadınlar illərdir parlayacaqları anı gözləyirlər\" deyib. Moda həftəsinin keçirilməsi keçən aya planlaşdırılsa da, xarici jurnalistlərin, moda mütəxəssislərinin və ticarətçilərin viza müraciətlərinin gecikməsi səbəbindən tədbir aprel ayına keçirilib. Tədbirin təqdimatında kişilər və kameraların olmasına icazə verilib, amma dəfilələrə yalnız qadınlar qatılıb. Çöldə şəkil çəkdirmək və sosial mediada paylaşım etməyə qadağa qoyulub. Kişi dizaynerlər dəfilələrdən əvvəl də səhnə arxasına buraxılmayıb. Hətta Ərəb Moda Birliyi rəhbəri Jacob Abrian ilk dəfə təşkil etdiyi moda həftəsini gözləri ilə görmədiyini deyib. Səudiyyə Ərəbistanındakı bu moda həftəsi ölkənin tarixində bir ilkdir və bundan iki il əvvəl bunu heç xəyal da etmək olmazdı. Neftə əsaslanan ölkə iqtisadiyyatının şaxələndirilməsi üçün iqtisadi islahatlar ilə sosial islahatlar həyata keçirəcəyini deyən Muhammed bin Salman isə son dövrdə qadınlar üçün çoxsaylı dəyişikliklər edib. Səudiyyə Ərəbistanı qadınlara iyun ayında avtomobil sürmək, yanvar ayında isə futbol oyunlarını izləmək icazəsini verib. 18 apreldə 35 il sonra ilk dəfə qadınlar və kişilərin bir yerdə otura biləcəyi kinoteatr açılacaq. Qadınların orduda xidmət keçməsi üçün də müraciət müddəti başlayıb. Bu inkişafa baxmayaraq, insan haqları qrupları Səudiyyə Ərəbistanının ayrı-seçkiliyə əsaslanan kişi qəyyumluq sisteminin hələ də qalmaqda olduğunu qeyd edir. Qəyyumluq sisteminə görə, yetkin qadınlar qəyyumlarından yola çıxmaq, evlənmək, işləmək, sağlamlıq xidmətlərindən faydalanmaq və həbsxanadan çıxmaq üçün icazə almalıdırlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51029261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51023126", "doc1": "ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে। তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে 'অপারেশন শহীদ সোলেইমান'। ইরানের স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা) এই হামলা শুরু হয়। ইরাকের সেনাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ২২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। আল আসাদ ঘাঁটিতে ১৭ টি মিসাইল হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়নি। তবে ইরবিলে যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার সবগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ইরাকে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হবার পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। জবাবে আমেরিকা অবশ্য বলেছিল, ইরাক থেকে সরে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই তাদের নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই সাথে এও বলেছিলেন যে, ইরাক থেকে যদি মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে হয় তাহলে দেশটির ওপর এমন অবরোধ আরোপ করা হবে, যা ইরাক 'আগে কখনো দেখেনি'। এরকম ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইরান। হোয়াইট হাউজ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, 'সব ঠিক আছে'। তিনি সকাল হলেএকটি বিবৃতি দেবেন বলেও তার ওই টুইটে উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, '' ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।'' ২০০৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ইরানের মিসাইল উৎক্ষেপণ -ফাইল ফটো ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ''আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে,'' ইরানের ইরনা নিউজ এজেন্সিতে একটি বিবৃতিতে বলেছে বাহিনীটি। ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে লিখেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবো। ইরানী টেলিভিশনে প্রচারিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দৃশ্য আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? কাসেম সোলেইমানির মৃতদেহ ইরানে, জনতার ঢল সোলেইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে ৫০ জন নিহত", "doc2": "Hücumlara aid olduğu deyilən görüntülər İranın dövlət televiziyasında göstərilib İranın dövlət televiziyası hücumun ölkənin ən yüksək hərbi komandiri Qasım Süleymaninin ABŞ prezidenti Donald Trump-ın göstərişi ilə Bağdadda pilotsuz təyyarə vasitəsilə vurularaq öldürülməsinə cavab olduğunu bildirib. Pentaqon İraqın İrbil və Əl-Əsəd bölgələrində azı iki yerə hücum edildiyini bildirib. İtkilərin olub-olmadığı məlum deyil. \"ABŞ-ın İraqdakı obyektlərinə hücum məlumatları barədə xəbərdarıq. Prezidentə məlumat verilib və vəziyyəti yaxından izləyir və milli təhlükəsizlik komandası ilə məsləhətləşir\", - Ağ Evin sözçüsü Stephanie Grisham bildirib. İran İnqilab Keşikçiləri hücumun cümə günü baş verən Süleymaninin ölümünə cavab olduğunu deyib. \"Biz onun terrorçu ordusuna bazalarını verən bütün ABŞ müttəfiqlərinə İrana qarşı hər hansı təcavüzkar hərəkətlərin başlanğıc nöqtəsi olan hər bir ərazinin hədəfə alınacağı ilə bağlı xəbərdarlıq edirik\" - İranın dövlət İRNA xəbər agentliyinin verdiyi açıqlamada bildirilir. İranın xarici işlər naziri Cavad Zərif Twitter hesabında hücumun özünümüdafiə xarakteri daşıdığını və vəziyyətin müharibəyə çevrilməsini istəmədiyini yazıb. Bir müddət sonra ABŞ Prezidenti Donald Trump \"hər şey yaxşıdır\" yazıb, əlavə edib ki, hələlik itki ehtimalları qiymətləndirilməyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52946738", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52947668", "doc1": "এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার তেমন প্রয়োজন নেই সংস্থাটি বলছে মাস্ক পরলে 'জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট' থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ এর মধ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরার উপদেশ দিয়েছে। কিছু দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় মানুষকে 'কাপড়ের মাস্ক - যেটি মেডিক্যাল মাস্ক নয়' পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবসময়ই বলে এসেছে যে মেডিক্যাল ফেস মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবার সাথে জড়িতদের ব্যবহার করা উচিত। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ কী? সংস্থাটি বলছে গত কয়েক সপ্তাহে চালানো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডা ভ্যান কেরখোভ বলেন, \"আমরা সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।\" পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিও বলছে যে অনেক রকম সুরক্ষা উপকরণের মধ্যে মাস্ক একটি। তবে মানুষ যেন মনে না করে যে মাস্ক পরলে তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, \"শুধু মাস্ক কখনো আপনাকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখবে না।\" বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন নতুন এই উপদেশ দেয়ায় মাস্ক পরা না পরা নিয়ে নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন আনলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। ঐ যুক্তিগুলো এখনো বাতিল করে দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তবে তারা বলছে সংক্রমণের বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। তারা বলছে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের - উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েকদিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণ করতে পারে, আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না তাদের মধ্যে - ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা। কাজেই যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় - গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট - সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যাদের বয়স ষাটের ওপর এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা আরো উন্নত মেডিকেল গ্রেড মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।", "doc2": "Bir sıra ölkədə maska taxmaq tövsiyə olunur Qlobal səhiyyə qurumuna əsasən, yeni məlumatlar maskaların \"potensial yoluxucu damcılar qarşısında maneə\" ola biləcəyini göstərir. Bir sıra ölkədə ictimai yerlərdə maska taxmaq icbaridir və ya tövsiyə olunur. Azərbaycan hökuməti mayın sonunda tənəffüs yollarını qoruyan fərdi vasitələrdən istifadə qaydalarını açıqlayıb. ÜST əvvəllər bildirirdi ki, sağlam insanların maska taxmalı olduğunu söyləmək üçün kifayət qədər dəlil yoxdur. Virusun ötürülmə riski olduğu yerlərdə insanlara \"parça maskası, yəni tibbi olmayan maska\" taxmaq tövsiyə olunur, ÜST-ün Covid-19 üzrə aparıcı texniki mütəxəssisi dr. Maria Van Kerkhove Reuters agentliyinə deyib. Təşkilat daim tövsiyə edib ki, xəstələr və onlara qayğı göstərən şəxslər tibbi maskalardan istifadə etməlidirlər. ÜST vurğulayır ki, üz maskaları yoluxma riskinin azaldılmasına xidmət edən vasitələrdən yalnız biridir və onların istifadəsi insanlarda yanlış əminlik hissi yaratmamalıdır. \"Öz-özlüyündə maskalar sizi Covid-19-dan qoruya bilməz,\" - ÜST-nin baş direktoru Tedros Adhanom Ghebreyesus deyib. ABŞ-dakı Johns Hopkins Universitetinin məlumatına görə, keçən ilin sonundan bəri dünya boyunca koronavirusla bağlı 6,7 milyon təsdiqlənmiş hadisə və təxminən 400 min ölüm halı qeydə alınıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49868154", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49826063", "doc1": "উত্তর ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই হুতি বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করে একজন হুতি মুখপাত্র বিবিসিকে জানান যে সৌদি শহর নাজরানের কাছে সৌদি সেনাদের তিনটি ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি বলেছেন, কয়েক হাজার সৈন্য আটক করা হয়েছে এবং অনেকে নিহত হয়েছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। ঐ হুতি মুখপাত্র জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মাপের অভিযান। কর্ণেল ইয়াহইয়া সারেয়া জানিয়েছেন যে, সৌদি সেনাবাহিনী 'বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সেনা সদস্য হারিয়েছে।' আরো পড়তে পারেন: তেল ক্ষেত্রে হামলার প্রতিশোধ নেবে সৌদি আরব সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের প্যারেড রবিবার হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। হুতিদের দাবি, ১৪ই সেপ্টেম্বর সৌদি তেল শোধনাগারে তারা হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে বৈশ্বিক তেলের বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পাশাপাশি সৌদি আরবও ঐ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে - যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। কী প্রেক্ষাপটে এই হামলা? ২০১৬ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ্রাব্বু মনসুর হাদি ও তার মন্ত্রীসভা হুতিদের কারণে রাজধানী সানা থেকে পালাতে বাধ্য হন। সেসময় থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইয়েমেনে। হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে। সৌদি আরব প্রেসিডেন্ট হাদিকে সমর্থন করে এবং ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে চলমান বিমান হামলার নেতৃত্ব দেয়। যৌথ বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে হুতিরা সৌদি আরবে মিসাইল নিক্ষেপ করে। এই গৃহযুদ্ধের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইয়েমেন। মোট জনসংখ্যার ৮০% মানুষ বা প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণভাবে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে ২০১৬ থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত মারা গেছে।", "doc2": "Husi üsyançıları Yəmənin şimal ərazilərinə nəzarət edirlər. Husi sözçüsü BBC-yə bildirib ki, Səudiyyənin Nəcran şəhəri yaxınlığında Səudiyyə Ərəbistanı ördusunun üç bölməsi əsir düşüb. O, minlərlə əsgərin əsir düşdüyünü və bir çoxunun öldüyünü söyləyib. Səudiyyə rəsmiləri bu iddianı təsdiqləməyib. Sözçü bildirib ki, keçirilmiş hücüm münaqişə başlayandan bəri ən böyük əməliyyat olub. \"Səudiyyə hərbiyyəsi böyük miqyasda canlı qüvvə və texnikada itkisi verib\", - polkovnik Yəhya Sariə qeyd edib. Ələ keçənlərin hamısı bazar günü husilər tərəfindən idarə olunan Əl-Məsrə TV şəbəkəsində nümayiş etdiriləcək, sözçü əlavə edib. Husilər sentyabrın 14-də Səudiyyə Ərəbistanının neft obyektlərinə qlobal bazarlara təsir etmiş dron və raket hücumu etdiklərini söyləyirlər. Lakin ABŞ, İngiltərə, Fransa və Almaniya tərəfindən dəstəklənən Səudiyyə həmin zərbələrə görə açıq şəkildə İranı günahlandırıb. Rəsmi Tehran isə bu iddiaları rədd edib. 2015-ci ildə prezident Abdrəbba Mənsur Hadi və onun höküməti ölkənin şimalının çox hissəsini tutan husilər tərəfindən paytaxt Sanaadan qaçmağa məcbur ediləndən bəri Yəmən müharibə vəziyyətindədir. Səudiyyə Ərəbistanı prezident Hadini dəstəkləyir və bölgə ölkələri koalisiyası tərəfindən İranla birləşən üsyançılara qarşı hava hücumlarının keçirilməsinə rəhbərlik edib. Koalisiya, demək olar ki, hər gün hava zərbələri həyata keçirir, husilər isə Səudiyyə Ərəbistanını tez-tez raketlərlə vururlar. Yəməndə vətəndaş müharibəsi dünyanın ən ağır humanitar fəlakətinin baş verməsinə gətirib çıxarıb. Yəməndə əhalinin 80 faizinin və ya 24 milyondan çoxunun humanitar yardıma və sosial müdafiəyəyə ehtiyacı var, o cümlədən 10 milyon insan aclıqdan əziyyət çəkir. BMT-nin hesablamalarına görə, münaqişə nəticəsində 2016-cı ildən bəri Yəməndə 70 mindən çox insanın öldüyü güman edilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44248234", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan/2015/04/150424_hepatit_azerbaijan", "doc1": "স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া ছড়ায় এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। মশার দ্বারা সংক্রমিত ম্যালেরিয়া রোগটি কিভাবে এতটা প্রাণঘাতী রোগ হয়ে উঠলো তার অজানা তথ্য উঠে এসেছে রোগটির ওপর জেনেটিক গবেষণায়। ক্যামব্রিজের ওয়েলকাম স্যাংগার ইন্সটিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এক গবেষণায় এই পরজীবীটির বংশতালিকা অনুযায়ী সাত ধরনের ম্যালেরিয়ার বিষয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে তারা দেখতে পেয়েছেন যে, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এই জীবাণুটি রূপান্তরিত হয়ে রোগের নতুন একটি \"শাখায়\" রূপান্তরিত হয় যা মানব জাতির জন্য মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নেচার মাইক্রোবায়োলজি নামে জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই রূপান্তরে তখন এমন একটি জিনগত পরিবর্তন ঘটে যার ফলে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানব শরীরের লোহিত কণিকায় আক্রমণ করতে পারে। এই গবেষকদের একজন ডক্টর ম্যাট বেরিম্যান বলেন, \"আমাদের গবেষণায় প্রতিটি পদক্ষেপের ফলাফল একত্রিত করে বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছি যে, ম্যালেরিয়ার সেসব জীবাণু শুধু মানব শরীরে প্রবেশই করছে তা নয়, সেখানে থেকে যাচ্ছে এবং মশার মাধ্যমে পরিবাহিত হচ্ছে।\" ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী যে ভয়াবহ পরজীবী বা প্যারাসাইট বিশ্বজুড়ে এই স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী, সেটি হল 'প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম'। স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে মানুষের দেহে এটি ছড়ায় এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। এছাড়া এর এমন প্রজাতিও আছে যেগুলো মনুষ্য সদৃশ শিম্পাঞ্জি এবং গরিলাকে কামড়ায়। গবেষণার জন্য গবেষক দল গ্যালনের একটি স্যাংচুয়ারিতে এ ধরনের প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। এসব প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পশুচিকিৎসক দল এগুলোর শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করেন। ড: বারিমান বিবিসি নিউজকে বলেন, \"দেখা যায়, সুস্থ প্রাণীগুলোর রক্তে উচ্চ মাত্রার প্যারাসাইট বা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহনের ইতিহাস রয়েছে।'' গবেষক দল গ্যালনের একটি স্যাংচুয়ারিতে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব বাংলাদেশ ভবন: উয়ারি বটেশ্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধ ২৩ বছরের যুবক মাদকাসক্ত থেকে যেভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী এই রক্তের নমুনা থেকে পাওয়া ম্যালেরিয়ার জিনগত কোডের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এর বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। গবেষকরা সাত ধরনের ম্যালেরিয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করেন। বিবর্তনের ইতিহাস অনুসারে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ৫০ হাজার বছর আগে আবির্ভূত হয়েছিল। কিন্তু মানব শরীরে সংক্রমণ-কারী প্রজাতি হিসেবে আবির্ভাব তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের পরিচালক অধ্যাপক জ্যানেট হেমিংওয়ে বলেন, ''এই গবেষণা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিভাবে এবং কখন একটি রোগ প্রজাতির মধ্যে বাধা অতিক্রম করে একটি মারণঘাতি রোগে পরিণত হয় তার সম্পর্কে এর মাধ্যমে একটি চিত্র পাওয়া যায়।'' কিভাবে এটি সংঘটিত হয় তা জানার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা একইরকম পরিস্থিতি এড়াতে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অধ্যাপক হেমিংওয়ে বলেন, ''এখনকার দিনে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, ম্যালেরিয়া একটি মানব-সৃষ্ট রোগ এবং ভুলে যায় যে এটি জেনোটিক রোগ যা ৫০ হাজার বছর আগে সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রজাতিগত বাধা অতিক্রম করেছে। এরপর মানব শরীরকে সে তার নতুন আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করে মানবজাতির জন্য মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।'' ''বিশেষ করে বলা যেতে পারে, যে পদ্ধতিতে এই পরজীবী ও ভাইরাস প্রাণী এবং মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে সেটা জানার মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এটা স্থায়ীভাবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে না পারে।''", "doc2": "Proqnoza əsasən, yaxın 10-20 ildə hepatitlər üzündən qaraciyər serrozu 60 faiz, qaraciyər xərçəngi 68 faiz, qaraciyər mənşəli digər xəstəliklərdən ölüm halları isə iki dəfə artacaq. HBV daha çox qaraciyər xərcənginə, Hepatit C Virusu isə serroza gətirib çıxarır. Serrozun yeganə effektiv müalicə yolu qaraciyər transplantasiyasıdır. Bu prosedurun dəyəri dünyada 100-150 min dollar aralığında dəyişir. Bəs Azərbaycanda Hepatit virusu geniş yayılıbmı? Bu virusa yoluxmuş xəstələr hansı problemlərlə qarşılaşırlar? Dövlət orqanının sözçüsü \"problem böyük deyil\" deyir. “Kommisiya yaradılıb və xəstələr pulsuz dərmanla təmin edilir”, Səhiyyə Nazirliyindən BBC Azərbaycancaya danşan rəsmi deyir. Araşdırmaçılar isə əks fikirdədir. Deyirlər ki, diqqətli olmasan, hər an bu virusa yoluxmaq mümkündür. Səhiyyə Nazirliyinin rəsmi məlumatına görə, 2009-cu ildə ölkədə 465 nəfər HBV, 339 nəfər HCV-yə yoluxma faktı qeydə alınıb. 2010-cu ilin 11 ayında isə bu rəqəmlər müvafiq olaraq 333 və 199 nəfər təşkil edib. Lakin “Azərbaycan təbabətinin müasir nailiyyətləri” adlı jurnalda verilən məlumata əsasən, 2000-2009-cu illərdə Bakı və Naxçıvanda bu və ya digər xəstəliklərə görə qanları analiz olunan, həmçinin könüllü qan verən 18-60 yaş qrupuna daxil olan 50 min nəfərdən çox şəxsin orta hesabla 3,5 faizinin HBV, 4,5 faizinin isə HCV-yə yoluxduğu aşkarlanıb. Hüquqi İnkişaf və Demokratiya İctimai Birliyi və “Ekspert” iqtisad jurnalı 2011-ci ildə apardığı araşdırma zamanı bu iki məlumatı müqayisə edib: \"Nəzərə alsaq ki, bu yaş qrupu ölkə əhalisinin üçdə ikisini təşkil edir, o zaman ölkə üzrə təxminən 450 min nəfərdən çox 18-60 yaşlı insanın təhlükəli viruslara yoluxduğunu söyləmək olar. Digər yaş qrupları ilə birlikdə isə bu göstərici daha yüksəkdir. Halbuki rəsmi statistik məlumatlar bundan dəfələrlə aşağı bir rəqəm üzərində qurulur. Bu səbəbdən rəsmi strukturlardan kənarda bütün mənbələr rəsmi statistikanın real vəziyyəti əks etdirmədiyi qənaətindədir. Hətta bəzi qeyri-hökumət təşkilatları Azərbaycanda 750 min nəfərin HBV və HCV-yə yoluxduğunu qeyd edirlər”, sənəddə deyilir. Azərbaycan Dövlət Statistika Komitəsinin məlumatına görə, 2000-ci ildə Hepatitli viruslara yoluxmuş 2381 insan olubsa, bu rəqəm 2009-cu ildə 1861, 2011-də 780, 2012-də 665, 2013-cü ildə isə 524 olub. Araşdırmada deyilir ki, Azərbaycanda HBV və HCV-yə yoluxma faktlarının dəqiq uçotu aparılmır. “Səhiyyə Nazirliyinin təlimatına əsasən bu viruslarla bağlı analizləri aparan bütün xəstəxanalar aşkarlanmış faktlar barədə nazirliyə məlumat verməlidirlər. Lakin faktiki olaraq bu təlimata əməl olunma səviyyəsi çox aşağıdır. Belə ki, dövlət xəstəxanalarında hepatitlərə yalnız əməliyyat olunan xəstələr yoxlanılır və nəticələr qeydə alınır. Digər tərəfdən, keyfiyyət amili üzündən insanlar belə analizləri özəl klinikalarda verməyi üstün tuturlar. Bundan əlavə, dövlət xəstəxanalarında digər qruplardan götürülən analizlərin heç də hamısı qeydiyyata alınmır. Özəl klinikalarda isə vergidənyayınma məqsədilə aparılan bütün növ analizlərlə bağlı məlumatların gizlədilməsi halları geniş yayılıb”. Səhiyyə Nazirliyinin rəsmisi Azərbaycanda bu xəstəlik haqqında məlumatları \"şişirtməyə gərək olmadığını\" deyir. Onun sözlərinə görə, bu xəbərlər şaiyədir. “18-60 yaş qrupunda 2 faizdən az insan Hepatit B virusuna, 3 faizi isə Hepatit C virusuna yoluxub. Bu o qədər də böyük rəqəm deyil. Göstəricilər qonşu ölkələrdən aşağıdır”. Adının çəkilməsini istəməyən rəsmiyə görə, Səhiyyə Nazirliyinin nəzdində yaradılmış komisiyaya 1500 adam müraciət edib. \"Və ehtiyacı olan bütün xəstələrə pulsuz dərman verilir\". Ancaq qardaşınını hepatit C virusuna yoluxduğunu deyən və BBC Azərbaycancaya danışan qadın deyir ki, pulsuz dərmanların əldə edilməsi üçün uzun müddətli növbə gözləmək lazımdır. Anonim Hüquqi İnkişaf və Demokratiya İctimai Birliyinin sədri Zülfiyyə Mustafayeva deyir ki Azərbaycanda bu virusa yoluxmuş xəstələrin statistikası reallığa uyğun deyil. Çünki bu insanlar anonim qalmağa üstünlük verirlər. “Bu virusa yoluxmuş insanlar cəmiyyətdə diskriminasiyaya uğrayırlar. Onlar ailədə və iş yerlərində “damğalanırlar”. Bu səbəbdən anonim qamağa üstünlük verirlər”. “HİV virusunda olduğu kimi, insanlar xəstəlik təsadüfən aşkar olunana qədər heç vaxt viruslar üçün testdən keçmirlər. Bu da birbaşa testlərin baha olması ilə bağlıdır ki, bir testin qiyməti 12-24 manat arasında dəyişir”, deyən sədr Hepatit B (HBV) virusunun müalicəsi yoxdur deyir. “Azərbaycanda doğulan körpələrə HBV üçün peyvənd vurulur. Amma ötən ildən HBV daşıyıcısı olan anaların dünyaya gətirdiyi uşaqlar üçün pulsuz olaraq imunoqlabin peyvəndi də vurulur. Bunun həyata keçirilməsində əvvəllər problemlər var idi. Bu peyvənd əlçatan deyildi. Amma Səhiyyə Nazirliyi bu səbəblə proqram hazırladı. Və bu proqramın nəticəsi olaraq ötən ildən imunoqlabin pulusuz olaraq vurulmağa başlanıldı. əgər körpəyə İmunoqlabin vurulursa bu ona Hepatit B virusunun yoluxmayacağının qarantiyası 100 faiz olur”. Zülfiyyə Mustafayeva onu da deyir ki, HBV ilə HCV-nin əsas fərqi isə birincinin cinsi yolla da keçə bilməsidir. “Hepatit C virusu HBV və HİV –lə müqaisədə daha müqavimətlidir. HBV 100 dərəcə qaynadıldıqda məhv olur, HCV isə 300 və daha artıq dərəcə lazımdır. HCV hətta spirtdə belə yaşaya bilər. Kiçik abort kabinetlərində və stomotoloji klinikalarda alətlər spirtlə silinir, amma spirt HCV-ni öldürmür”. Zülfiyyə Mustafayeva deyir ki, Azərbaycandakı Hepatitli xəstələrin əsas problemləri diaqnostikanı dəqəq aparan klinikaların az olması və Hepatit üzrə yaxşı mütəxəssislərin az olmasıdır. Üstəlik müalicəsi olan HCV çox pul tələb edir. Dərmanların baha olmağından başqa digər problem, onların keyfiyyəti məsələsidir. Hər ölkədə istehsal olunan keyfiyyətli sayılmır. Ən yaxşısı Almaniya istehsalı olandır. Təhlilçi onu da qeyd edir ki, dünya əhlisi arasında hər 12-nəfərdən biri Hepatit virusu ilə yaşayır. Hepatit visrusları ilə bağlı araşdırma aparmış Dünya Sakit deyir ki, 6 Hepatit virusu var A, B, C, D, E və G. Amma bu növlərin də özlərinin sub növləri var. “Bu viruslardan ən yüngü A-dır. A virusu əhali arasında sarılıq xəstəliyi kimi də tanınır və Azərbaycan əhalisinin 90 faizi bu xəstəliyə tutulub. “Ən təhlükəlisi isə Hepatit C hesab olunur, təkcə onun 36 subnövü var. Hepatit C-yə qarşı vaksina hələ də tapılmayıb. Hepatit C-nin iki növü var, kəskin və xroniki. Azırbaycanda bu virusa tutlanların 70-80 faizi xroniki Hepatit C xəstəsi olurlar”. Ötən il Səhiyyə Nazirliyinin nəzdnində Hepatit virusuna yoluxmuş şəxslərin müayinə və müalicəsinin təşkili üzrə Komissiya yaradılıb. Komisiyanın sədri professor Murad Məmmədov İnterfaks-Azərbaycan agentliyinə müsahibəsində deyib ki, Azərbaycanda bu infeksiyalarla bağlı vəziyyət dünyada mövcud vəziyyətdən o qədər də fərqlənmir. \"Son illər ərzində əldə olunan məlumatlar onu deməyə əsas verir ki, böyüklər arasında əhalinin təxminən 2 faizi (18 yaşdan 60 yaşadək) hepatit B, bu qrupdan olan ölkə sakinlərinin təxminən 3 faizi isə hepatit C virusuna yoluxub\", o deyir. Samirənin hekayəsi “Qardaşımın 30 yaşı var. 4 il əvvəl Hepatit C virusuna (HCV) yoluxduğunu öyrəndik. Necə baş yerdiyini bilmirik. Uzun müddət stomotoloji klinikada dişlərini müalicə etdirib. Ya orada olub, ya da dəlləkxanada. Bunu bilmək çətindir. Virusa yoluxuduğunu da təsadüfən bildik. Əməliyyat üçün analiz verəndə”, bu sözləri Samirə (ad şərtidir) deyir. Onun sözlərinə görə, qardaşının hər tibbi müayinəsində onu müşayət edir. Xəstəxanaya çox xəstə müraciət edir. “Müayinə üçün gələnlər arasında qadınlar daha çoxdur. Əsasən gənc xəstlər var. Kişilərdə Hepatit B, qadınlarda isə C virusu daha çox yayılıb. Stomotoloji klinikalar, qadın və kişi gözəllik salonları, abort aparatları bu virusun əsas yayıcılarıdır”. Samirə onu da deyir ki, müalicə çox bahalı prosesdir. “HCV-nin müalicəsi bir il çəkir və dərmanları bahadır. Çox ağır müalicədir, psixoloji cəhətdən insanı çox yorur. Əks təsirləri çox olur. Ən pisi də odur ki, müalicə 100 faizlik nəticə verməyə də bilər”, deyən Samirə qardaşının müalicəni davam etdirə bilmədiyini də deyir. “İynələrin birinin qiyməti 200-250 manat arasında dəyişir. Müalicə dövründə, yəni bir il ərzində hər həftə iynə vrulmalıdır. Analizlərin də qiyməti çox bahadır. 300-400 manat arasında dəyişir. Maddi imkanımız olmadığına görə, müalicəni dayandırdıq”. Samirə hepatitli xəstələrə pulsuz dərmanların verilməsindən də danışır. “Bizim adımız siyahıda var, amma növbə çoxdur. Həm də ehtiyat edirik. \"Bu virusa yoluxmuş digər qohumumuz pulsuz dərmanlardan imtina edib. Çünki keyfiyyətsiz hesab edib\", o deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51295547", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40013927", "doc1": "বসতি স্থাপনকারীরা অনেকে বিশ্বাস করেন যে এ ভূমি ঈশ্বর তাদের দিয়েছে তবে সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ হলো পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিকে অনুমোদন দেয়া। অন্য বেশিরভাগ দেশ মনে করে এসব বসতি অবৈধ। তাহলে এরা কারা? ফিলিস্তিন বিরোধিতা করলে এদের সংখ্যা বাড়ছে কেন? জাতিসংঘে বেশিরভাগ দেশ বলছে এসব বসতি হয়েছে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। এমনকি সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রও এর সাথে একমত। কিন্তু গত নভেম্বরে মিস্টার ট্রাম্প ঘোষণা দেন ইসরায়েলি বসতিকে তিনি আর আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন মনে করেননা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। কিন্তু অবৈধ হোক আর না হোক, বসতি আছে ও বাড়ছে। এখানে দেখা যাচ্ছে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় সেখানকার চিত্র কেমন ছিলো। ইসরায়েলের অংশ নীল ও পশ্চিম তীর হলুদ। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ মনে করে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই সেখানে বসতি বাড়াচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে হাজারো ইসরায়েলি বাস করে কেন ফিলিস্তিনের যে এলাকা ইসরায়েল রাষ্ট্রভূক্ত করতে চায় মানচিত্রে পশ্চিম তীর মানচিত্রে পশ্চিম তীর সত্তর, আশি ও নব্বিইয়ের দশকে বহু বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। গত বিশ বছরে তাদের জনসংখ্যাও দ্বিগুন হয়েছে। সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে ইসরায়েল। তাদের সুরক্ষা দেয় ইসরায়েলি সেনারা। (এটি একটি স্লাইড) Interactive Population growth in Givat Zeev settlement from 2004 to 2019 Population in 2019: 17,000 Population in 2004: 10,000 স্যাটেলাইট থেকে নেয়া চিত্রে দেখা যায় সময়ের সাথে সাথে কিভাবে বসতিগুলো বেড়েছে। ২০০৪ সালে গিভাট জাইভ বসতিতে দশ হাজারের মতো মানুষ ছিলো, আর এখন আছে সতের হাজার। এখন পশ্চিম দিকে আরও বাড়ছে। বাড়ছে নতুন বাড়ি, উপাসনালয় ও শপিং সেন্টার। বসতিগুলো নানা আকারের। কিছু আছে যেখানে কয়েকশ মানুষ বাস করে। সবচেয়ে বড়গুলোর একটিতে ৭৩ হাজার ৮০ জন বাস করে। গত পনের বছরে তাদের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নারীদের সন্তান সংখ্যা তুলনামূলক বেশি ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী চার বছর আর কোনো বসতি হওয়া উচিত নয়। তবে নতুন স্থাপনা না হলেও সেটেলারদের সংখ্যা বাড়বেই উচ্চ জন্ম হারের কারণে। গড়ে ইসরায়েলি নারীদের এখন সাতটির বেশি সন্তান। এমনিতেই ইসরায়েলে জন্ম হার ৩.১। আর দখলকৃত এলাকার বসতিগুলোতে সেটি আরও বেশি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে জন্ম হার কম। এর প্রভাব পড়বে মোট জনসংখ্যাতেও। সেখানে বসতি করা হচ্ছে সেটিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ মনে করে। তারা মনে করে বসতিগুলো সরাতে হবে তাদের রাষ্ট্রের জন্য। জাতিসংঘ রেজুলেশন লঙ্ঘন করেই এসব বসতি করেছে ইসরায়েল ইসরায়েলিরা পশ্চিম তীরে কেন বসতি করতে চায়? কিছু লোক এসব বসতিতে গেছেন অধিকতর সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায়। কারণ সেখানে ঘরবাড়ি বানানোর খরচ খুব কম। নানা সুবিধার কারণে সেখানকার জীবনমান উন্নত। আর কিছু মানুষ গেছেন কঠোর ধর্ম বিশ্বাসের কারণে। তারা মনে করেন ঈশ্বর এ জায়গা তাদের জন্য দিয়েছে। তবে এক তৃতীয়াংশই সেখানকার অতিমাত্রায় রক্ষনশীল। তাদের সংসার বড় ও কিছুটা দরিদ্র। আর কিছু আছেন যারা মনে করেন ইহুদিদের প্রাচীন ভূমি হওয়ার কারণে সেখানে তাদেরই বাস করার অধিকার রয়েছে। কিছু লোক এসব বসতিতে গেছে অধিকতর সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশায়। দুই-জাতি সমাধান কারা চায়? এ ভূমিকে ভাগ করে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমর্থক ক্রমশ কমছে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনদের ৭১ ভাগ আর ইসরায়েলিদের ৬৮ ভাগ এর সমর্থক ছিলো। ১৮ সালে এ সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৫। অন্যদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনদের এক করার পক্ষে ৩৬ভাগ ফিলিস্তিনি ও ১৯ ভাগ ইসরায়েলি ইহুদি ও ৫৬ ভাগ ইসরায়েলি আরব। দু জাতি তত্ত্বের সমর্থন খারাপ খবর হলো দুই জাতি তত্ত্বের সমর্থন তরুণদের মধ্যেই বেশি কমছে। তথ্যউৎস: ইসরায়েলি সেন্টার ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস ও জেরুজালেম ইন্সটিটিউট ফর ইসরায়েল স্টাডিজ। জরিপ তথ্য ফিলিস্তিন সেন্টার ফর পলিসি এবং সার্ভে রিসার্চ অ্যান্ড দা ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইন্সটিিউট এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়", "doc2": "Cənab Abbas prezident Trump-ın \"nəcib və mümkün missiyasını\" müsbət qarşıladığını və sülh uğrunda səylərdə onun həmkarı olmağa hazır olduğunu deyib. Mahmud Abbasla görüşündə cənab Trump Fələstin liderinin terrorla mübarizə aparmağa hazır olmasından məmnun olduğunu deyib. Artıq üç ildir ki, İsrail və Fələstin arasında birbaşa danışıqlar yoxdur və cənab Trump iki tərəf arasında potensial razılığın \"ən çətin razılıqlardan biri\" olduğunu etiraf edib. Bu, ABŞ prezidentinin Orta Şərqə səfərinin sonuncu günüdür. Lakin həm Qərb Sahilində, həm də Qəzzada fələstinlilər prezident Trump-ın səfərinə qarşı etiraz aksiyaları keçiriblər. Bazar ertəsi günü cənab Trump ABŞ və İsrail əlaqələrinin əhəmiyyətini vurğulayıb. Prezident Trump cənab Abbasla görüşdüyü Betləhəm şəhərinə \"ümidlə\" gəldiyini deyib. \"Mən israillilər və fələstinlilər arasında sülh müqaviləsinin əldə edilməsinə çalışacam\" - o deyib - \"Və mən onlara bu hədəfi əldə etməyə əlimdən gələni etmək niyyətindəyəm\". \"Mən bu liderlərlə sülh uğrunda birgə işləməyə məmnunam\", cənab Trump vurğulayıb. Cənab Abbas prezident Trump-ın \"nəcib və mümkün missiyasını\" müsbət qarşıladığını və sülh uğrunda səylərdə onun həmkarı olmağa hazır olduğunu deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42564973", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/42552028", "doc1": "মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন সহকারী সবসময় 'ফুটবল' নিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন কিন্তু তার কি আসলেই পারমানবিক বোমার কোন সুইচ আছে? একটি পরমাণু বোমা ছোড়া রিমোটে টিভির চ্যানেল পরিবর্তন করার মতো কোন সহজ কাজ নয়। অবাক ব্যাপার হলো, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে 'বিস্কুট' আর 'ফুটবলের' মতো বিষয়। তবে আক্ষরিক অর্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন পরমাণু বোমার সুইচ নেই। তাহলে তার কি আছে? ২০শে জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বারাক ওবামার সঙ্গে একটি কালো চামড়ার ব্রিফকেস নিয়ে একজন ব্যক্তিগত সহকারী প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই কালো ব্রিফকেসসহ মি. ট্রাম্পের সহকারী হয়ে যান। আরো পড়তে পারেন: বিকাশ ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন ১০ বিস্ফোরক তথ্য এই ব্রিফকেসটি 'নিউক্লিয়ার ফুটবল' নামে পরিচিত। পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে হলে এই ব্রিফকেসটি দরকার হবে। কখনোই এই 'ফুটবল' মার্কিন প্রেসিডেন্টের অদূরে থাকবে না। গত অগাস্টে একজন বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, যখন মি. ট্রাম্প গলফ খেলেন, তখনো এই 'ফুটবল' তার সঙ্গে পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। 'ফুটবলে'র মধ্যে কি আছে? কিন্তু কেউ যদি কখনো এই পরমাণু ফুটবলের ভেতরে উকি দেয়ার সুযোগ পান, তিনি হতাশ হবেন। কারণ সেখানে কোন সুইচ বা বোতাম নেই, কোন ঘড়ি নেই যেটা টিক টিক করে চলছে। সেখানে আছে কিছু যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, এবং কিছু বই যেখানে যুদ্ধের পরিকল্পনা আছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য এসব পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু 'বিস্কুটে'র মধ্যে কি আছে? 'বিস্কুট' হচ্ছে এমন কিছু কার্ড, যার মধ্যে কিছু গোপন কোড রয়েছে, যা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সবসময় থাকার কথা। এটা সবসময় 'ফুটবল' থেকে আলাদা থাকে। কখনো যদি প্রেসিডেন্ট কোন পরমাণু বোমা হামলার নির্দেশ দেন, এসব কোড দিয়ে তার নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একজন সাবেক সহকারী রবার্ট বাজ প্যাটারসন দাবি করেছেন, মি. ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একবার তার কোডগুলো হারিয়ে ফেলেন। তিনি এসব কোড অন্যসব ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে তার ট্রাউজারের পকেটে রাখতেন। মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে স্ক্যান্ডাল যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন মি. ক্লিনটন স্বীকার করেন যে, ওই কোডগুলো তিনি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না। কিভাবে প্রেসিডেন্ট পরমাণু বোমা হামলা করবেন? একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলা চালাতে পারেন। যখন তিনি নিজের পরিচয় নিশ্চিত করবেন, তিনি হামলা চালাতে জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেবেন। এরপর এই আদেশটি যাবে নেব্রাস্কায় ইউএস স্ট্যাটেজিক কমান্ড হেডকোয়ার্টারে। তারা সংশ্লিষ্ট হামলাকারী ইউনিটকে নির্দেশটি পাঠাবে। সেটা সাগর, স্থল বা পানির নীচের কোন সাবমেরিনও হতে পারে। সংকেতের মাধ্যমে হামলা চালানোর আদেশটি দেয়া হবে, যে সংকেতের একটি কপি ওই হামলাকারী ইউনিটেও সংরক্ষিত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশ কি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ। সংক্ষেপে, তিনি যা বলবেন, সেটাই হবে। কিন্তু সেখানেও কিছু ফাঁক রয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পরমাণু হামলার কর্তৃত্ব পরীক্ষা করে দেখেছে। কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইউএস স্ট্রাটেজিক কমান্ডের সাবেক প্রধান সি রবার্ট কেহলার বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্টে পরমাণু বোমা হামলার আদেশ অনুসরণ করবেন, যদি তা আইনসম্মত হয়। ''অন্য কোনরকম পরিস্থিতি দেখা দিলে, আমি হয়তো বলতে পারি যে, আদেশটি বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রস্তুত নই।''তিনি বলছেন। একজন সিনেটর তার কাছে জানতে চান, ''তখন কি হবে''? তার সরল উত্তর, ''আমি জানি না''। কংগ্রেস কমিটির সদস্য তখন হেসে ফেলেন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল কিসের ইঙ্গিত জাপানে চালের পিঠা খেয়ে কেন লোক মারা যায় বাংলাদেশে সব বিদেশি মাছেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক? মুসলিম তরুণের সঙ্গে দেখা করায় মেয়েদের উপর হামলা", "doc2": "ABŞ və Şimali Koreya liderləri arasında çəkişmə getdikcə daha da kəskinləşir \"Şimali Koreya lideri Kim Jong Un indicə deyib ki, \"nüvə düyməsi daima masası üstündədir. Tükənmiş və ərzaq qıtlığından əziyyət çəkən rejimdən kimsə ona çatdıra bilərmi ki, mənim də nüvə düyməm var və o, daha böyük və daha güclüdür, həmdə mənim düyməm işləyir!\", - Donald Trump-ın tvitində deyilir. Paylaşımın sonu Twitter, 1 Cənab Trump-ın tviti liderlər arasında getdikcə daha da şəxsi çalarlar alan çəkişmə silsiləsinin növbəti nümunəsidir. Həftənin əvvəlində Şimali Koreya lideri demişdir ki, nüvə düyməsi \"həmişə masasının üstündə\"dir. Bundan əvvəl Şimali Koreya ABŞ-ı hər vaxt istifadəyə hazır olan nüvə silahı ilə hədələyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50038357", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50038479", "doc1": "বুধবার সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে তুরস্ক অভিযান শুরু করার পর থেকে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা গেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এর আগে জানায় যে, উত্তরাঞ্চলে সরকারি বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া তুর্কি অভিযানের মূল উদ্দেশ্য কুর্দি বাহিনীগুলোকে সীমান্ত এলাকা থেকে উৎখাত করা। কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ-এর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো গত সপ্তাহে তীব্র বোমা হামলার শিকার হয়েছে। সীমান্তবর্তী দু'টি শহরে তুরস্কের বাহিনী শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছে। সীমান্তের দুই প্রান্তেই বেসামরিক নাগরিকসহ অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। রবিবার কুর্দি কর্মকর্তারা বলেছেন বিদেশি ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের পরিবারের প্রায় আটশো সদস্য যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে উত্তরাঞ্চলের আইন ইসা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গেছেন। তুরস্কের আগ্রাসন এবং ঐ এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমা জোটের প্রধান সহযোগীই ছিল এসডিএফ। আরো পড়তে পারেন: ভূমিকম্প মোকাবেলা: প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ফারাক কোর্টের রায়ের পরও ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি ঐক্যফ্রন্ট 'ব্যর্থ', তবু জোট ভাঙতে চায়না বিএনপি সিরিয়ার কোন এলাকা এখন কার নিয়ন্ত্রণে কিন্তু তুরস্ক এসডিএফ'এর কুর্দি সেনাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। তুরস্কের বক্তব্য, তারা সিরিয়ার ভেতরে অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে 'নিরাপদ অঞ্চল' তৈরি করতে চায়। তুরস্কের ভেতরে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরিয় শরণার্থীকে ঐ অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এর ফলে ঐ অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে। চুক্তি সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? উত্তর সিরিয়ার কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলছে যে চুক্তি অনুযায়ী পুরো সীমান্ত জুড়ে সিরিয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এই সেনা মোতায়েন এসডিএফ'কে 'তুরস্কের সেনা এবং ভাড়াটে বিদেশি সেনাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলো মুক্ত করতে সহায়তা করবে' বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে: এই পদক্ষেপ আফ্রিনের মত যেসব সিরিয় শহর তুর্কি বাহিনীর অধীনে রয়েছে, সেসব শহর মুক্ত করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তুরস্কের সেনাবাহিনী এবং তাদের সমর্থক সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ২০১৮ সালে দুই মাসের এক অভিযানের পর আফ্রিন শহর থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের বিতাড়িত করে। আরো পড়তে পারেন: সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে? আইএস'এর বিদেশি যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে কারা? তুরস্কের অভিযানের শিকার কুর্দি জনগোষ্ঠী কারা? শোক প্রকাশ করছেন এক নারী কুর্দি যোদ্ধা এই চুক্তি কুর্দিদের জোট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখতে পারে - বিশেষ করে ঐ এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীর সমর্থন হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। তবে সিরিয়ার সরকার কুর্দি বাহিনীদের সাথে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এসডিএফ প্রধান মাজলুম আবদি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের জন্য লেখা এক প্রতিবেদনে স্বীকার করেছেন যে, আসাদ সরকার ও তাদের রুশ মিত্রদের সাথে 'যন্ত্রণাদায়ক আপস' করবে তারা। তিনি লিখেছেন, \"আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করি না। সত্যি বলতে কাকে বিশ্বাস করবো তা ঠিক করা খুবই কঠিন।\" \"কিন্তু আমাদের আপস এবং আমাদের মানুষের গণহত্যা - দু'টির একটি বেছে নিতে হবে। তাই আমরা আমাদের মানুষের ব্যাপারেই চিন্তা করেছি।\" মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে হঠাৎই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কিছু অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরপর তুরস্ক সিরিয়ার সেসব অঞ্চলে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিরিয়ার কারাগারে আইএস বন্দীদের নিয়ে উদ্বেগ কেন সেসময় মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টিকে এসডিএফ 'পিঠে ছুরি চালানো'র সাথে তুলনা করেছিল। তুরস্ক এখন পর্যন্ত কতদূর অগ্রসর হয়েছে? তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আরো শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। রবিবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন যে তার বাহিনী ১০৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে, যার মধ্যে ২১টি গ্রামও রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন অন্যতম প্রধান সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাস আল-আইন তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদিও এসডিএফ বলেছে তারা তুরস্কের সেনাদের শহরের বাইরে হটিয়ে দিয়েছে। মি. এরদোয়ান বলেছেন তুরস্কের বাহিনী তাল আবইয়াদ শহরও ঘেরাও করে রেখেছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, তুরস্ক ঐ এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এসডিএফ'এর বিরুদ্ধে অভিযানে তুরস্কের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য রাস আল-আইন এবং তাল আবইয়াদ শহর দু'টি। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা: ঐ এলাকায় সংঘাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সীমান্তের দুই পাশেই বেসামরিক নাগরিকসহ সেনারাও নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক নাগরিক এখন ভাসমান রয়েছেন এবং এই সংখ্যা বাড়তে পারে। ঐ অঞ্চলে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তারা।", "doc2": "Çərşənbə günü Suriyadakı kürd qüvvələrinə qarşı müdaxilə başlayandan sonra onlarla insan öldürülüb Suriyanın dövlət kütləvi informasiya vasitələri xəbər verib ki, hökumət qüvvələri şimala göndərilib. Bu, ABŞ-ın qalan ordusunu \"əlverişsiz\" vəziyyətə görə ərazidən çıxarmasından sonra baş verib. Ötən həftə başlayan Türkiyənin hərbi müdaxiləsi kürd qüvvələrini sərhəd ərazisindən kənarlaşdırmaq məqsədi daşıyır. Bu bölgədəki ABŞ-ın əsas müttəfiqi olan kürdlərin rəhbərlik etdiyi Suriya Demokratik Qüvvələrinin (SDQ) nəzarəti altındakı bölgələr həftə sonu ağır bombardmana məruz qalıb. Türkiyə iki əsas sərhəd şəhərində üstünlük əldə edib. Hər iki tərəfdən onlarla mülki şəxs və döyüşçü həlak olub. SDQ Suriyada özünü İslam Dövləti adlandıran hərbi qruplaşmaya qarşı mübarizədə qərbin əsas müttəfiqlərindən biri olduğu üçün Türkiyənin buraya hərbi müdaxiləsi və ABŞ-ın geri çəkilməsi beynəlxalq etiraz doğurub. Lakin Türkiyə kürd qruplaşmalarının elementlərini \"terrorçu kimi\" gördüyünü deyir. Türkiyə öz sərhəddindən Suriyanın 30 km içərisinə doğru \"təhlükəsiz bölgə\" yaratmaq istədiyini bəyan edib. Bundan başqa Türkiyə həmin ərazidə 3 milyondan çox Suriya qaçqınını yerləşdirmək istəyir. Onların əksəriyyəti kürd deyil. Tənqidçilər bunun yerli kürd əhalisinin etnik təmizlənməsinə səbəb ola biləcəyi barədə xəbərdarlıq edirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-39866706", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39176728", "doc1": "বরখাস্তকৃত এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। হোয়াইট হাউজ বলছে, মি. ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন মি. কোমি। নির্বাচনের আগেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে তদন্তকে কেন্দ্র করে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দেয়া বক্তব্যে মি. কোমি ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে খবর বের হয়। মি. কোমির উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচার বিভাগের সাথে তিনি একমত যে মি. কোমি এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন এবং সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। তবে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মি. কোমির বরখাস্তের বিষয়ে তাদেরকে আগে থেকে কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। মি. কোমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে একটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মি. কোমিকে দায়ী করেছিলেন মিসেস ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক সংবাদ সংস্থা, পলিটিকোর প্রতিবেদক ড্যানিয়েল লিপম্যান বিবিসিকে বলেন, মি. কোমির পরিবর্তে কে আসবেন, তার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে। \"ওয়াশিংটনের সবাই এখন ভাবছে, এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক কি ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার মুখে নিতে পারবেন এবং তার রুশ সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে কি একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন? যদি এখন ট্রাম্পের নিজের কোন লোককে বসানো হয়... তাহলে অনেক আমেরিকান এখন এফবিআইকে যতটা অবিশ্বাস করে, তার চেয়ে আরো বেশি করবে\"। ৫৬ বছর বয়স্ক মি. কোমিকে চার বছর আগে এফবিআই-এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তার মেয়াদ শেষ হতে আরো ৬ বছর বাকি ছিল। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যদিও পরবর্তীতে সেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলে প্রমাণিত হয়। সেসময় ডেমোক্র্যাটরা তার কড়া সমালোচনা করে। কিছুদিন আগে মিসেস ক্লিনটনও তার পরাজয়ের পেছনে মি. কোমির সেই ভূমিকাকে একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।", "doc2": "Xəbər verilir ki, cənab Comey Ədliyyə Nazirliyindən Obamanın ötən ilin seçki kampaniyası zamanı telefon danışıqlarını dinləməyi sifariş verməsi iddialarının rədd edilməsini xahiş edib. O bunu ona görə edib ki, bu, yanlışlıqla FTB-nin qanunu pozmasına işarə edir. Xəbəri New York Times yazıb və NBC isə təsdiqləyib. Ədliyyə Nazirliyi xəbərlə bağlı heç bir rəsmi məlumat verməyib. ABŞ KİV-i bir rəsmiyə istinadən cənab Comey-in Trump-ın iddialarını təsdiq edən sübutların olmadığına inandığını deyib. Obamanın sözçüsü cənab Trump-ın iddialarını \"sadəcə yalan\" adlandırıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51889261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51897954", "doc1": "অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে। ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়? 'ইনকিউবেশন' বা প্রাথমিক লালনকাল এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে ভাইরাস। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো) করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে। শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না। ইনকিউবেশনের সময়ের - প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় - স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন। নিরীহ অসুখ অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না। এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে। তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস ভয়াবহ ব্যাধি এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়। যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, \"রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায় শুরু হয়। কীভাবে এটি ঘটছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না।\" ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হওয়াকে নিউমোনিয়া বলে। আপনার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসের ছোট টিউবগুলোয় যদি যাওয়া যেত, তাহলে আপনি হয়তো শেষপর্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের বায়ুথলিতে গিয়ে পৌঁছাতেন। এই থলিগুলোতেই রক্তে অক্সিজেন যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কিন্তু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র থলিগুলো পানি দিয়ে ভর্তি হতে শুরু করে এবং ফলস্বরুপ শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি করা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যার মত উপসর্গ তৈরি করে। কিছু মানুষের শ্বাস নিতে ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন হয়। চীন থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, এই ধাপে ১৪% মানুষ আক্রান্ত হয়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ফুসফুসের স্ক্যান, নিউমোনিয়া আক্রান্ত অংশ চিহ্নিত করা রয়েছে অতি জটিল রোগ এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬% করোনাআক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অসক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূল সমস্যাটা হয়, এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে। রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি, এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ডাক্তার ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, \"ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে, একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেইল করে।\" এ পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভাইরাসের সাথে পেরে না ওঠে তাহলে তা শরীরের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে। এ পর্যায়ে আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে ইসিএমও বা এক্সট্রা-কোর্পোরেয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি কৃত্রিম ফুসফুস দ্বারা টিউবের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে নিয়ে সেই রক্ত অক্সিজেনপূর্ণ করে আবার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। ইসিএমও মেশিন দিয়ে এক রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে প্রথম মৃত্যু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দু'জন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, যদিও তারা দু'জনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন। প্রথম যিনি মারা গিয়েছিলেন, ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, এবং ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান। ৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। তাকেও একটি ইসিএমও মেশিনের সহায়তা দেয়া হয়, কিন্তু তবুও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তীব্র নিউমোনিয়া ও সেপটিক শকে মারা যান তিনি।", "doc2": "Əksəriyyət üçün bu xəstəlik yüngül keçir, lakin bəzi insanları bu xəstəlik öldürür. Görəsən, virus bədənə necə hücum edir, niyə bəzi insanlar bu virusdan ölür və bu virusa yoluxanlar necə müalicə olunur? İnkubasiya dövrü Bu zaman virus özünü göstərməyə başlayır. Viruslar bədən hüceyrələrinin içərisinə işləyəndən sonra onları nəzarət altına götürür. Rəsmi olaraq Sars-CoV-2 adlanan koronavirus onu nəfəslə içəri aldığınız zaman (kimsə yaxında öskürəndən sonra) və ya üstündə virus olan əşyaya və sonra da üzünüzə toxunduğunuz zaman bədəninizə keçə bilər. Bu virus ilk növbədə boğaz, tənəffüs yolları və ciyərlərdə yerləşən hüceyrələrə yoluxur və onları daha çox sayda hüceyrəyə yoluxmaqda davam edən böyük miqdarda yeni virus massivi istehsal edən \"koronavirus fabriklərinə\" çevirir. Bu erkən mərhələdə insanda xəstəlik simptomları olmur və bəzi insanlarda həmin simptomlar heç vaxt olmaya da bilər.İnkubasiya müddəti, yəni infeksiyanın yoluxması ilə və ilk simptomların özünü göstərməsi arasındakı vaxt geniş diapazonda dəyişir, lakin orta hesabla təxminən beş gün çəkir. Yüngül xəstəlik İnsanların əksəriyyətində xəstəlik bu cür keçir. Covid-19 virusuna yoluxanların 10 nəfərdən səkkizində infeksiya yüngül formada keçir və əsas simptomlar yalnız qızdırma və öskürək kimi özünü göstərir. Bədən, boğaz və baş ağrısı - bütün bunlar mümkündür, lakin mütləq deyil.Qızdırma və ümumiyyətlə, naxoşluq hissi immunitet sisteminin infeksiyaya reaksiya verməsinin nəticəsidir. İmmun sistemi virusu aşkar edilən kimi bədənin qalan hissələrinə xəbərdarlıq siqnalları göndərir və bu proses sitokinlər adlanan kimyəvi maddələrin əmələ gəlməsi və ifrazı yoluyla vaş verir. Onlar immunitet sistemini toparlayır, amma eyni zamanda bədəndə narahtlıq hissi, ağrı və qızdırmaya səbəb olur.Koronavirusa görə əmələ gələn öskürək ilk öncə quru olur və bunun səbəbi infeksiyaya yoluxmuş hüceyrələrin qıcıqlanması ilə bağlıdır. Bəzi insanlarda quru öskürək nəhayət bəlğəm gətirən öskürəyə çevrilir, bəlğəmin tərkibi virusun öldürdüyü ciyər hüceyrələrinin qarışığı olan qalın selikdən ibarətdir. Bu simptomlar yataq rejimi, bol miqdarda maye və parasetamol qəbul edilməsi ilə müalicə olunur. Bu halda ixtisaslaşdırılmış xəstəxanaya yatmaq ehtiyacı yaranmır. Bu mərhələ təxminən bir həftə davam edir və bu zaman bu cür xəstələrin əksəriyyəti sağalır, çünki onların immun sistemi virusa qarşı mübarizədə üstün gəlir.Ancaq xəstələnənlərin bəzilərində Covid-19 virusunun daha ciddi forması inkişaf edə bilər.Bəzi tədqiqatlara əsasən, bu mərhələdə xəstəlik özünü burunaxma kimi soyuqdəymə simptomlarıyla da göstərə bilər. Xəstəliyin ağır forması Xəstəlik ağırlaşırsa, bu, immun sisteminin virusa aşırı reaksiya tərziylə bağlı ola bilər. Bədənin qalan hissəsinə ötürülən kimyəvi siqnallar iltihaba səbəb olur, lakin bu həssas şəkildə balanslaşdırılmalıdır. Çox güclü iltihab bütün orqanizmin əlavə zədələnməsinə səbəb ola bilər. London Kral kollecindən doktor Nathalie MacDermott deyir ki, \"virus immun sisteminin cavabında bir tarazlığın pozulmasına səbəb olur, bunu necə baş verdiyinmi bilmirik\". Ciyərlərin iltihabına pnevmoniya (sətəlcəm) deyilir. Koronavirus infeksiyasına məruz qalan ağciyərdə pnevmoniyaya tutulmuş sahələr Ciyərin aşağı hissəsində kiçik hava kisələri yerləşir. Burada oksigen qana daxil olur və karbon qazı xaricə çıxır, lakin pnevmoniya xəstəliyi zamanı həmin kisəciklər su ilə dolmağa başlayır və nəticədə nəfəs darlığı yaranır, tənəffüs çətinləşir. Bu zaman bəzi xəstələri süni tənəffüs aparatına qoşmaq lazım gəlir.Çində koronavirus xəstələrinin statistikasına əsasən, xəstəliyin ağır formasına virusa yoluxanların 14 faizi məruz qala bilər. Kritik xəstəlik Xəstələrin təxminən 6%-nin ağır xəstə olduğu təxmin edilir. Bu məqamda, bədənin fəaliyyəti pozulmağa başlayır və ölüm ehtimalı kəskin artır.Bu mərhələdə immun sistemi nəzarətdən çıxır və bədənin fəaliyyətini pozur. Bu, qan təzyiqinin təhlükəli dərəcədə aşağı düşməsi və orqanların fəaliyyətinin düzgün işləməməsi və ya tamamilə pozulması ilə müşayiət olunan septik şoka gətirib çıxara bilər. Ciyərlərdə intensiv iltihaba görə yaranan kəskin tənəffüs çətinliyi sindromu bədənin fəaliyyət göstərməsi üçün lazım olan kifayət qədər oksigen alınmasına imkan vermir. Bu, böyrəklərdə qan təmizləməsi prosesini poza və bağırsağın selikli qişasını zədələyə bilər. \"Virus elə güclü iltihab əmələ gətirir ki, nəticədə, siz ölürsünüz... bu, daxili orqanların fəaliyyətinin pozulmasına gətirib çıxarır\", - doktor Bharat Pankhania deyib. İmmunitet sistemi virusun öhdəsindən gələ bilmirsə, virus bu halda son nəticədə bədənin bütün nöqtələrinə yayılacaq və orqanizmə daha ağır zərbələr vuracaq. Xəstə süni nəfəs aparatına qoşulma yolu ilə müalicə edilən zaman Bu mərhələdə yüksək dərəcədə invaziv müalicə yer alır, bu müalicə bədəni süni yolla oksigenləşdirilməsini də nəzərdə tuta bilər. Bu zaman qalın borular vasitəsilə bədəndən qan çıxarılaraq oksigenləşdirilir və geri ötürlür, yəni sistem süni ciyər kimi işləyir. Amma orqanizmə dəyən zərər kritik həddə çatanda, bədən artıq həyatı davam etdirmək funksiyasının öhdəsindən gələ bilmədiyi üçün xəstə ölür. İlk ölüm halları Həkimlər bütün göstərilən səylərə baxmayaraq, bəzi xəstələrin necə öldüyünü təsvir etdilər. Lancet tibb jurnalında qeyd olunur ki, Çində Uhan şəhərinin Cinyintan xəstəxanasında vəfat edən ilk iki xəstə onlara virus yoluxana qədər, görünür sağlam olublar, amma bu da var ki, onlar uzun müddət siqaret çəkən olublar və bu, onların ağciyərlərini zəiflədə bilərdi. Birinci xəstənin, 61 yaşlı kişinin xəstəxanaya çatdırıldığı vaxt ağır pnevmoniyası var idi. O, kəskin respirator çatışmazlığından əziyyət çəkirdi və ciyərlərinin süni ventilyasiyasına baxmayaraq, ciyərlərinin funksiyasını bərpa etmək mümkün olmamışdı və nəticədə, onun ürəyi dayanmışdı. O, xəstəxanaya yerləşdirildikdən 11 gün sonra ölüb. İkinci xəstə, 69 yaşlı kişi də kəskin respirator çatışmazlığı sindromundan əziyyət çəkib. Onu da süni nəfəs aparatına qoşdular, amma bu, kömək etmədi. O, qan təzyiqinin düşməsiylə müşayiət olunan kəskin pnevmoniya və septik şokdan vəfat edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46873306", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46871535", "doc1": "যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের অনেকেই মনে করেন তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয়নি'। জরিপে অংশ নেওয়া কিশোর ও তরুণদের এক তৃতীয়াংশের বেশি নারী এবং এক চতুর্থাংশের বেশি পুরুষ মনে করেন যে তারা প্রথম যখন যৌন সঙ্গম করেন সেটি 'সঠিক সময়' ছিল না। আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে যৌনমিলনের সম্মতি প্রদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে অন্তত ১৬ বছর বয়সী হতে হয়। যুক্তরাজ্যের মানুষের যৌন আচরণ এবং জীবনধারা নিয়ে সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে ঐ বয়সে অনেকেই যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত থাকে না। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে' নামে পরিচিত এই জরিপটি প্রতি দশকেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকরা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জরিপে অংশ নেওয়া ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর দেয়া তথ্য ব্যবহার করেছেন এই জরিপে। জরিপের ফলাফল অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তর থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০% নারী এবং ২৬% পুরুষ মনে করেন যে তাদের প্রথম যৌনমিলন 'সঠিক সময়ে হয় নি'। এদের অধিকাংশই মনে করেন যে, কৌমার্য বা কুমারীত্ব পরিত্যাগ করার আগে তাদের আরো অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তবে স্বল্পসংখ্যক উত্তরদাতা প্রথম যৌন সঙ্গম আরো আগে সংঘটনের পক্ষ নেন। অধিকাংশই ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই প্রথমবার যৌনমিলনের স্বাদ নিয়েছেন - যাদের প্রায় অর্ধেক নিজেদের ষোড়শ বর্ষের শেষদিকে যৌন সঙ্গম করেছেন। এক তৃতীয়াংশের প্রথমবার ছিল তাদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগেই। ইচ্ছা ও প্রস্তুতি জরিপে যৌনমিলনের প্রস্তুতির বিষয়টিরও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় প্রথমবার যৌন সঙ্গম করার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে সম্মত হতে সক্ষম কিনা - তা যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, সম্মতি দেয়ার সময় কোনো ধরণের মাদকের প্রভাবে না থাকা বা সঙ্গী, বন্ধুবান্ধবদের চাপে পড়ে সম্মতি না দেয়ার মতো বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া নারীদের প্রায় অর্ধেক এবং পুরুষদের প্রায় ৪০% এই ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়। নারীদের প্রতি পাঁচজনে একজন এবং পুরুষদের পুরুষদের প্রতি ১০ জনে ৪ জনই মনে করেন প্রথম মিলনের সময় তাদের সঙ্গী সমান আগ্রহী ছিল না। অর্থাৎ তারা মনে করেন তাদের সঙ্গীরা অনেকটা চাপে পড়েই প্রথম মিলনে সম্মতি দিয়েছিলেন। 'ন্যাটস্যাল সার্ভে'র প্রতিষ্ঠাতা কায়ে উইলিংস মনে করেন কোনো ব্যক্তি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা বয়সের মানদণ্ডে যাচাই করা উচিত নয়। \"প্রত্যেক তরুণই আলাদা - কেউ ১৫ বছর বয়সেও যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত হয়, আবার অনেক ১৮ বছর বয়সীও প্রস্তুত না থাকতে পারেন\", বলেন মি. উইলিংস। সহ-গবেষক মেলিসা পামার বলেন, \"আমাদের পাওয়া তর্থ বিশ্লেষণ যাচাই করে ধারণা করা যায় যে, প্রথম যৌনমিলনের সম্মতি দেয়ার ক্ষেত্রে উঠতি বয়সী তরুণদের চেয়ে তরুণীরা অপেক্ষাকৃত বেশি চাপের মধ্যে থাকে।\" তিনি বলেন তরুণ-তরুণীরা যেন প্রথম যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ও নিরাপদ যৌন সঙ্গমের নিশ্চয়তা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্কুলগুলোর যৌনতা বিষয়ক পাঠ্যসূচি সাজানো প্রয়োজন। কখন সঠিক সময়? আপনি যদি মনে করেন যে আপনার যৌন সঙ্গমের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে আগে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন। এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে হয়তো আপনি যৌনমিলনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নিচের কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি প্রস্তুত নাও হতে পারেন:", "doc2": "20 yaşlarında olan qadınların üçdə birindən çoxu və kişilərin təxminən dörddə biri etiraf ediblər ki, onların ilk dəfə cinsi əlaqəyə girməsi \"uyğun vaxta\" təsadüf etməyib. Britaniyada cinsi əlaqəyə girməyə qanunla 16 yaşından başlayaraq icazə verilir. Seksual davranış və həyat tərzi mövzusunda Britaniyada keçirilmiş son sorğunun (Natsal) nəticələrinə əsasən, bir çox gənclər bu yaşda cinsi əlaqəyə girməyə hazır olmaya bilərlər. Məzmun mövcud deyil Paylaşımın sonu YouTube, 1 Təxminən hər on ildən bir keçirilən Natsal sorğusu Britaniyada seksual davranışın təfsilatlı mənzərəsini təmin edir. 2010-2012-ci illərdə keçirilmiş sonuncu sorğuda təxminən 3000-dək gənc iştirak edib və onların verdiyi cavabları London Gigiyena və Tropik Tibb Məktəbinin tədqiqatçıları təhlil ediblər. Nəticələr Gənc respondentlərin verdiyi cavablar göstərib ki, gənc qadınların təxminən 40 faizi və gənc kişilərin 26 faizi ilk seksual təcrübələrinin \"düzgün vaxta\" təsadüf etdiyini düşünmürlər. Respondentlərin əksəriyyəti deyib ki, bakirəliyi daha yuxarı yaşda itirmək istəyərdi. Soruşulanların azsaylı hissəsi isə bunun daha erkən yaşda baş verməsini istəyib. Respondentlərin əksəriyyəti 18 yaşı tamam olanadək artıq cinsi əlaqəyə girib, onların yarısı bunu 17 yaşına çatanadək edib. Sorğuda iştirak edənlərin təxminən üçdə biri 16 yaşı tamam olmamış cinsi əlaqədə olub. Bərabər istək Sorğu zamanı cinsi əlaqəyə girənlərin buna hazırlığı da nəzərdən keçirilib - ilk dəfə cinsi əlaqəyə girən şəxsin buna nə qədər hazır olması, buna dair düşünülmüş qərar qəbul etmək qabiliyyəti təhlil edilib. Misal üçün, bu zaman onların içkili olub-olmadıqları, cinsi əlaqənin razılıq əsasında baş verib-verilmədiyi, razılığın təzyiq altında verilib-verilmədiyi nəzərə alınıb. Sorğuda iştirak edən gənc qadınların təxminəm yarısında və gənc kişilərin təxminən 40 faizində bu meyarlar gözlənilməyib. Gənc qadınların təxminən 20 faizi və gənc kişilərin təxminən 10 faizi bildiriblər ki, onların cinsi əlaqəyə girmək istəyi partnyorları ilə eyni dərəcədə olmayıb. Bu isə güman etməyə əsas verir ki, bu hallardan bəzilərində cinsi əlaqə təzyiq altında baş verib. Natsal sorğularının təsisçisi professor Kaye Wellings deyib ki, yaş meyarı şəxsin seksual əlaqəyə girməyə hazırlığının göstəricisi kimi yozulmamalıdır: \"Gəncdən-gəncə fərq var - bəzi 15 yaşlılar buna hazır ola bilər, bəzi 18 yaşlılar isə - yox\". \"Apardığımız təhlil göstərib ki, gənc qadınlara gənc kişilərlə müqayisədə cinsi əlaqəyə girmək üçün partnyorları tərəfindən daha çox təzyiq göstərilir, - tədqiqatçılar qrupunun üzvü doktor Melissa Palmer qeyd edib. - Gənclər seksual münasibətlərdə daha fəal olublar və baxmayaraq ki, respondentlərin təxminən 90 faizi ilk cinsi əlaqə zamanı kontraseptiv vasitələrdən istifadə edib, onların sağlamlağının təmin edilməsi üçün səylər davam etdirilməlidir\". Melissa Palmer deyib ki, gənclərin ilk seksual təcrübəsinin pozitiv və təhlükəsiz olması üçün məktəblərdə cinsi əlaqələrə dair tədris proqramları onlara bu mövzuda düzgün danışıq aparmaq bacarığı öyrətməlidir. \"Düzgün vaxt\" nə vaxtdır? Əgər sizə elə gəlir ki cinsi əlaqəyə girmək imkanınız var, özünüzə bu sualları verin: Əgər bütün bu suallara cavabınız müsbətdirsə, onda vaxt seçimi düzgün ola bilər. Lakin aşağıdakı suallardan da hər hansına cavabınız müsbətdirsə, onda ola bilsin ki, uyğun vaxtı seçməmisiniz:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46483946", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/vert-fut-46543135", "doc1": "যীশুখ্রীস্টের সঙ্গে জেসিকা হেসের বিয়ে। জেসিকা হেসের বয়স এখন ৪১। এখনো তিনি কুমারী। ক্যাথলিক চার্চের নিয়ম অনুযায়ী ঘোষণা করেছিলেন, একমাত্র ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে বধূ হিসেবে সমর্পণ করবেন। ক্যাথলিক চার্চে যারা এরকম শপথ নেন, তাদের শপথ অনুষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো করেই কনের পোশাক পরতে হয়। এরপর প্রতিজ্ঞা করতে হয়, আজীবন কৌমার্য রক্ষা করবেন। কারও সঙ্গে কোন ধরণের প্রেমের বা যৌন সম্পর্কে জড়াবেন না। তারা হাতের আঙ্গুলে একটি বিয়ের আংটিও পরেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মের্কেল: ধর্মযাজকের কন্যা থেকে 'ইউরোপের সাম্রাজ্ঞী' মের্কেল: ধর্মযাজকের কন্যা থেকে 'ইউরোপের সাম্রাজ্ঞী' বাংলাদেশে মি-টু আন্দোলন: কী হতে পারে পরিণতি চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে কেন এত সন্দেহ আঙ্গুলে আংটি পরিয়ে দেয়া হয় এই অনুষ্ঠানে জেসিকা হেস বলেন, তাঁকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি বিবাহিত? \"আমি সাধারণ উত্তর দেই যে আমার অবস্থা চার্চের সিস্টারদের মতো, একমাত্র পার্থক্য হচ্ছে আমি বাইরে থাকি।\" যারা এরকম কুমারী থাকার শপথ নেন, তাদের চার্চের গন্ডিতে আবদ্ধ থাকতে হয় না বা সিস্টারদের মতো পোশাকও পরতে হয় না। তারা সমাজের আর দশজনের মতই জীবন যাপন করতে পারেন। চাকুরী করতে পারেন। যেমন, জেসিকা একটি স্কুলে চাকুরি করছেন গত ১৮ বছর ধরে। তিনি থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ফোর্ট ওয়েইন শহরে। তবে কাজ শেষে বাকী সময়ের বেশিরভাগটাই তার কাটে প্রার্থনায় আর ঈশ্বরের সেবায়। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হয় একজন বিশপের সঙ্গে। অনুষ্ঠানের শেষে কুমারীত্বের শপথ নেয়া বধুকে বেদির সামনে শুয়ে পড়তে হয় সারাজীবনের অঙ্গীকার জেসিকে হেসের মতো যারা সারাজীবন কুমারী থাকার অঙ্গীকার করেছেন, তাদের ব্যাপারে ক্যাথলিক চার্চের মানুষেরাও খুব কমই জানেন। কারণ মাত্র ৫০ বছরের কিছু সময় আগে ক্যাথলিক চার্চ এরকম একটি প্রথা প্রকাশ্যে অনুমোদন করে। অথচ ক্যাথলিক চার্চে সেই বহু শত বছর আগে কুমারী থাকার চর্চা ছিল। মধ্যযুগে এই প্রথা কমে গিয়েছিল। ১৯৭১ সালে ভ্যাটিকান এরকম কুমারী থাকার প্রথাকে ধর্মীয় অনুমোদন দেয়। ২০১৩ সালে জেসিকা কুমারী থাকার শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর দুবছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে 'তিনি পবিত্র কুমারী' বলে ঘোষিত হন। ঐ অনুষ্ঠানের শেষ ধাপে তাকে গির্জার বেদির সামনে শুয়ে পড়তে হয়। \"এর মানে হচ্ছে আমি নিজেকে উপহার হিসেবে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করছি, আজীবনের জন্য তাকে গ্রহণ করছি।'' যুক্তরাষ্ট্রে জেসিকার মতো 'পবিত্র কুমারী' বা 'যীশুখ্রীস্ট্রের বধূ' আছে ২৫৪ জন। এদের কেউ হয়তো পেশায় নার্স, কেউ একাউন্ট্যান্ট, কেউ ব্যবসা করেন, কেউ কাজ করেন দমকল কর্মী হিসেবে। বিশ্বজুড়ে এরকম 'পবিত্র কুমারী' আছে চার হাজারের মতো। ভ্যাটিকান বলছে, অনেক জায়গাতেই এরকম শপথ নেয়া নারীর সংখ্যা বাড়ছে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জেসিকার পরিবারের সদস্যরা এবং অনেক বন্ধু-বান্ধব জেসিকা হেস একটা বয়সে কয়েকটি রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। এদের সঙ্গে তার সম্পর্ক যে কোন পরিণতিতে যেতে পারে সেটা তার মনে হয়নি। যে সমাজে যৌনতা নিয়ে অতটা সংস্কার নেই, সেখানে আজীবন কুমারী থাকার শপথ বেশ কঠিনই বটে। \"আমার মনে হয় সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে আপনাকে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। কারণ আমরা যে জীবন বেছে নিয়েছি, সেটাকে প্রচলিত সংস্কৃতির বিরোধী বলে গণ্য করা হয়।\" \"আমাকে প্রায়ই শুনতে হয়, ও, তুমি এখনো একা? তখন আমাকে ব্যাখ্যা করতে হয়, আমার সম্পর্ক ঈশ্বরের সঙ্গে, আমি আমার শরীরও ঈশ্বরকেই দিয়েছি।\" শারীরিকভাবেও কুমারী? গত জুলাই মাসে ভ্যাটিকান একগুচ্ছ নতুন নিয়ম-কানুন প্রকাশ করে যা 'পবিত্র কুমারী'দের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করেছিল। প্রশ্নটা ছিল, যারা 'পবিত্র কুমারী' হয়েছেন, তাদের কি সারাজীবন শারীরিকভাবেও কুমারী থাকতে হবে? যারা নান বা সন্ন্যাসিনী, তাদের বেলায় নিয়ম হচ্ছে, যেদিন থেকে তারা চার্চে যোগ দিচ্ছেন, সেদিন থেকে তারা কৌমার্য রক্ষা করবেন। কিন্তু 'পবিত্র কুমারী'দের বেলায় নিয়ম ছিল, তাদের জন্ম থেকেই কুমারী থাকতে হবে। কিন্তু ভ্যাটিকানের নতুন নিয়মে বলা হয়েছিল, এরকম থাকতে পারলে ভালো, কিন্তু পবিত্র কুমারীদের দলে যোগ দিতে গেলে এটা একেবারে অপরিহার্য তা নয়। অনুষ্ঠানে ক্যাথলিক চার্চের বিশপদের সঙ্গে জেসিকা কিন্তু জেসিকা হেস যুক্তরাষ্ট্রের যে ক্যাথলিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তারা এই নতুন নিয়মকে খুবই আপত্তিকর বলে মনে করে। তারা চিঠি লিখে এর প্রতিবাদ জানায়। জেসিকা হেস চান, ভ্যাটিকানের দলিলে যেন বিষয়টা আরেকটি পরিষ্কার করে বলা হয়। এরকম নিয়ম কেন করা হয়েছে, সেটা তিনি কিছুটা বুঝতে পারেন। \"অতীতে কেউ হয়তো ভুলে কিছু একটা করেছিল, বা কেউ হয়তো ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তো তারা তাদের কৌমার্য হারায়নি।\"", "doc2": "O, İsa Məsihə ərə gedirdi. 41 yaşlı Jessica özünü müqəddəs bakirə adlandırır. Bu, katolisizmdə həyatlarını Məsihin gəlini olaraq Allaha həsr etmək istəyən qadınlar tərəfindən qəbul edilən bir vəddir. Hətta katolik kilsəsində belə müqəddəs bakirələr barədə çox az adam bilir. O cümlədən özünü bu cür Allaha həsr edilməsinə kilsə tərəfindən rəsmən təqribən 50 il əvvəl icazə verilib. Mərasim zamanı gəlin kimi ağ libas geyinən müqəddəs namizəd bakirəyiliyini qoruyacağı, cinsi və romantik münasibətlərə girməyəcəyi barədə vəd verir. Qadın həmçinin məsihçi olmasının əlaməti olaraq nişan üzüyü taxır. \"Məndən tez-tez soruşurlar ki, sən belə ərə getmisən? Adətən qısa şəkildə izah edirəm ki, mən demək olar ki rahibəyəm və özümü Məsihə həsr etmişəm, lakin bununla yanaşı dünyada yaşayıram\", - Jessica Hayes izah edir. Nişan üzüyü müqəddəs bakirələr üçün onların Məsihlə mistik birləşməsinin rəmzidir Amerikanın Bakirə Qızlar Assosiasiyasının məlumatına görə, Jessica ABŞ-da yaşayan 254 \"Məsih gəlinlərdən\" biridir. Assosiasiyanın üzvləri arasında dayə, psixoloq, yanğısöndürən, mühasib və hətta bizneslə məşğul olan var. 2015-ci ildə aparılan tədqiqata görə, dünyada 4 minə yaxın müqəddəs bakirə var. Vatikanda deyilənlərə görə, dünyanın müxtəlif coğrafi və mədəni ərazilərində bu cür xidmətə maraq artıb. 2020-ci ilə qədər onların sayının 5 minə çatacağı gözlənilir. Rahibələrdən fərqli olaraq müqəddəs bakirələr qapalı icmalarda yaşamırlar və xüsusi geyimdə olmurlar. Onlar dünyəvi həyat tərzi sürür, işləyirlər və özlərini təmin edirlər. Kişilər üçün katoliklikdə analoji xidmət mövcud deyil. \"Mən 18 ildir müəllimə işləyirəm. Mən təhsil aldığım köhnə məktəbdə dərs deyirəm\", - deyə İndiana ştatının Fort Wayne şəhərində yaşayan Jessica deyir. \"Özümü bu cür xidmətə həsr edənə qədər anladım ki, rahibələrin həyat tərzi - dini icma və ya apostol missiyası mənə görə deyil\", -deyə Jessica izah edir. İthaf mərasiminin ən əhəmiyyətli anı uzanan bakirənin qurbangah qarşısında səcdə etməsidir Jessica dərslə məşğul olmayan zaman vaxtının çox hissəsini dua etməklə keçirir. O, yepiskop qarşısında hesabat verir və mütəmadi olaraq mənəvi müəllimləriylə görüşür. \"Mən yaxınlıqda yaşayıram, evimin iki addımlığında yerləşən kilsəyə ailəm və yaxınlarıma, dostlarıma kömək etməyə həmişə hazıram. Bundan başqa, dərs dediyimə görə bütün günü ətrafımda insanlar var. Lakin buna baxmayaraq özümü Allaha həsr etmək üçün vaxt tapıram\". Əvəllər Jessica-nın romantik münasibətləri olub. Lakin onun sözlərinə görə, bu münasibətlər onu heç vaxt ozünə tam bağlamayıb. \"Bir vaxtlar fikirləşirdim ki, mənim həyat məqsədim evlilikdir, axı bu insan üçün təbii arzudur. Ona görə də görüşürdüm, lakin bu heç vaxt ciddi olmayıb\". Ömür boyu ithaf İlk xristianlıq dövründən başlayaraq bakirəlik kilsə həyatının vacib ünsürlərindən olub. Bizim eranın ilk 3 əsrində bakirəlik vədi verən qadınların çoxu kilsə tərəfindən təqdir edilən şəhidlik seçimi həyatları bahasına başa gəlib. Müqəddəs Aqnes Roma məmurunun oğlunun nikah təklifini rədd edərək Məsih uğrunda nikahsızlıq vədi verir Onların arasında bakirəliyini qoruyan və həyatını Allaha həsr etmək barədə vədinə görə öldürülən romalı müqəddəs Aqnes də var. Əsrin ortalarında rahibə həyatının məşhurlaşması, Allah adına dünyəvi subaylıq təcrübəsi azalmağa başladı. Və yalnız 1971-ci ildə, Vatikan müqəddəs bakirəlik barədə sənədi qəbul etdikdən sonra canlanmağa başladı. Və bunun ardınca Müqəddəs kilsə daxilində qadın bakirəliyinin könüllü formasını qəbul etdi. Jessica deyir ki, mənəvi müəlliminə rast gəlməyənə qədər müqəddəs bakirə olmaq barədə heç vaxt düşünməyib. Jessica-nın müqəddəslik mərasimində dostları və qohumları iştirak edib Jessica bu qərarı 2013-cü ildə, 36 yaşı olan zaman qəbul edib. Təqva (günahların bağışlanması) isə iki il sonra baş tutub. \"Baxmayaraq ki, mən müqəddəsliyə qədər olan vəzifəni icra edirəm amma fərq var. Çünki Allaha ər kimi etibar etmək, ona dost kimi etibar etməklə eyni deyil\". Seksual məsələlərin yüksək əhəmiyyət daşıdığı cəmiyyətdə bütün həyatı boyu fiziki yaxınlıqdan imtina edən müqəddəs qadınlar üçün müəyyən çətinliklər yarana bilər. \"Mən düşünürəm ki, ən çətini səni düzgün başa düşməmələridir. Çünki bizim seçim bu günkü mədəniyyətə meydan oxumaq kimi görünür. Mən tez-tez \"belə çıxır ki, sən təksən\" sözlərini eşidirəm. Və mən onlara mənim üçün ilk yerdə Allahla münasibətimin dayandığını və mənim bədənimin Allaha məxsus olduğunu izah etməyə məcbur oluram\". Fizioloji saflıq? Ötən ilin iyul ayında Vatikanın yeni sənədi müqəddəs bakirələr icmasını coşdurub. İndi müqəddəs bakirələr üçün yeni qaydalar tətbiq olunur Ən çox müzakirə olunan məsələ isə müqəddəs bakirəlik yolunu seçən qadınların müqəddəslik mərasimi keçirilənə qədər fizioloji cəhətdən bakirə olub-olmamasıdır. Yalnız tövbə günündən etibarən bakirəliyi vəd edən rahibələrdən fərqli olaraq Məsih gəlinlərindən əvvəldən bəkarətlərini saxlamaları gözlənilirdi. Vatikanın yeni sənədinin 88-ci bölməsində olan şərtə görə \"bədəninizi mükəmməl və ismətli şəkildə qoruyub saxlamaq\" vacibdir, amma bu mütləq deyil. Başqa sözlə desək hazırda bakirə olmadan da müqəddəs bakirəliyin sıralarına qəbul olmaq olar. Roma Papası Francis müqəddəs bakirələrin roluna aydınlıq gətirilməsi barədə suallara reaksiya verib Jessica-nın sıralarına daxil olduğu Amerikanın Müqəddəs Bakirələr Assosiasiyası Vatikan tərəfindən yayılmış yeni rəhbərliyi məyusedici hesab edir. Assosiasiyanın yaydığı bəyanatda onun kilsənin fizioloji cəhətdən bakirəliyin artıq bakirəlik həyatı üçün vacib şərt olmadığını öyrənən zaman şok keçirdiyi bildirilir. Jessica deyir ki, istəyərdi ki, Müqəddəs Kilsənin sənədində daha çox aydınlıq olsun. Bununla yanaşı, o, Roma Katolik Kilsəsinin başçısının onun kimi qadınlara diqqət ayırdığına görə özünü xoşbəxt sayır. \"Eyni zamanda bəyanatda əvvəlki kimi deyilir ki, müqəddəs bakirəliyə namizədlər nikahda olmamalı və ya ismət ləyaqətini kobud pozmamalıdırlar\", - deyə o əlavə edib. Yeni müqəddəs bakirələrə görə məsuliyyəti yerli yepiskoplar daşıyır \"Mümkündür ki, kimsə nə vaxtsa keçmişdə anlaşılmazlıq yaşayıb və ya məsələn, qız təcavüzə məruz qalaraq bakirəliyini itirib. Bütün bunlar şüurlu şəkildə baş verməyib\", - o, deyir. Jessica deyir ki, son nəticədə burada söhbət katolik qadınlar arasında bu cür xidmətin təşviqindən gedir. \"Müqəddəs qadınların sayının artması insanların məhz Allaha bu cür xidmətə ehtiyacları olmasıyla bağlı ola bilər və kilsənin hazırda buna ehtiyacı var\", - Jessica deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50304894", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-48904976", "doc1": "ইরানের আনবিক শক্তি কমিশন সোমবার নাতাঞ্জে আধুনিক সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহারের ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাসহ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জার্মানির সাথে সম্পাদিত ওই চুক্তি মোতাবেক ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে রাজী হয়েছিল। কিন্তু ওই চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই তারা ওই চুক্তির শর্তগুলো ভাঙতে শুরু করে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, তেহরানের কাছে ফরদাও নামে তাদের ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ইরান এক হাজারেরও বেশি সেন্ট্রিফিউজের ভেতর গ্যাস ভরা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আবার সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এমন এক ধরণের ইউরেনিয়াম যা পারমাণবিক চুল্লিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়, আবার তা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করা যায়। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, ইরান যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা থামানো যাবে না। আরো পড়তে পারেন: মাদকবিরোধী অভিযানের নামে 'ক্রসফায়ারে মৃত্যুর' রেকর্ড আজহার বেটিং কেলেঙ্কারি ভারত যেভাবে সামলায় ইন্টারনেটে এক শিক্ষকের আইএস বিরোধী লড়াই দু'হাজার পনের সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সাথে সম্পাদিত এক টেকনিক্যাল চুক্তির অধীনে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রেখেছিল। বিনিময়ে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু ইরানের পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই চুক্তির শর্ত আরো বেশি করে লঙ্ঘন করা হলো। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার কথা ঘোষণা করেন এবং ইরানের ওপর কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন, ইরানকে যেন ওই চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করা যায়। কিন্তু এর জবাবে এ বছরের প্রথম দিক থেকেই ইরান ওই চুক্তির শর্তগুলো ক্রমান্বয়ে ভাঙতে শুরু করে। তেহরানে এক ভাষণে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, যখনই ওই চুক্তির অন্যান্য পক্ষগুলো তাদের অঙ্গীকার পূরণ করবে, তখনই তার দেশ সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস ভরার কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে।", "doc2": "İran rəsmiləri bir neçə saat ərzində zənginləşdirmə limitini pozacaqlarını açıqlayıblar Xarici işlər nazirinin müavini Abbas Araqçi deyib ki, İran hələ də müqaviləni xilas etmək istəyir, lakin o, Avropa ölkələrini öz öhdəliklərini yerinə yetirməməkdə ittiham edib. ABŞ 2018-ci ildə birtərəfli olaraq müqavilədən çəkilib. Bundan sonra İran iqtisadiyyatına təsir göstərən sərt sanksiyalar yenidən tətbiq olunub. Bu açıqlamalara cavab olaraq ABŞ-ın dövlət katibi Mike Pompeo deyib ki, bu, yalnız millət üçün əlavə \"təcrid və sanksiyalara\" səbəb olacaq. Bu ilin may ayında İran zənginləşdirilmiş uran istehsalını artırdığını açıqlamışdı. Bu, həm reaktorlara yanacaq vermək, həm də nüvə silahları üçün istifadə edilə bilər. Ölkə hazırda razılaşmada icazə veriləndən daha çox zənginləşdirilmiş uran rezerv edib. İran nüvə silahı yaratmaq istəyinin olduğunu qətiyyətlə inkar edir. İran nəyi elan edib? ABŞ-ın razılaşmadan geri çəkilməsinin ildönümündə İran ABŞ-ın sanksiyalarından qorunmaq üçün müqaviləni imzalayan digər ölkələr - Çin, Fransa, Almaniya, Rusiya və Böyük Britaniyaya 60 gün müddət verib. Müddətin başa çatdığı bazar günü mətbuat konfransında danışan cənab Araqçi, İranın bir neçə saat içində 3.67% konsentrasiyadan yuxarı uran zənginləşdirməyə başlayacağını söyləyib. İran zənginləşdirilmiş uranın Bushehrdə elektrik stansiyasında yanacaq üçün istifadə edəcəyini söyləyir Rəsmilər daha əvvəl təxminən 5% konsentrasiya nəzərdə tutulduğunu söyləyib. Buşehrdə İranın nüvə stansiyası yalnız bu səviyyədə \"aşağı zənginləşdirilmiş\" yanacaq tələb ed Silah üçün lazım olunan uran zəngiləşdirilmə dərəcəsi 90% və ya daha çoxdur. Cənab Araqçi bildirib ki, İran hər 60 gün 2015-ci il müqaviləsindəki öhdəliklərini daha da azaldacaq. Tehranda tədqiqat məqsədilə istifadə edilən bir nüvə reaktor daha yüksək zənginləşdirilmiş yanacaq tələb edir, yəni təxminən 20%. Bu faiz İranın nüvə razılaşmasından əvvəl istehsal etdiyi ən yüksək səviyyədir. Lakin İranın Atom Enerjisi Təşkilatının sözçüsü Behrouz Kamalvandinin sözlərinə görə, ölkədə artıq bu məqsəd üçün kifayət qədər ehtiyat var. Xarici işlər naziri Məhəmməd Cavad Zərif deyib ki, Avropa ölkələri öz öhdəliklərinə əməl etsə, İran bu addımlarını \"geri çevirə bilər\". Avropa qüvvələri növbəti addımları müzakirə etmək üçün bir-birləriylə görüşdüklərini deyiblər. Almaniya bu haldan \"son dərəcə narahat\" olduğunu bildirib və İranı müqaviləni təhlükə altına almaq üçün daha bir addım atmamağa çağırıb. Böyük Britaniyanın xarici ofisinin sözçüsü deyib ki, İran indi nüvə razılaşmasının şərtlərini pozsa da, Böyük Britaniyaya razılşamaya \"tam sadiq qalıb\". Böyük Britaniya həmçinin İranı fəaliyyətlərini dayandırmağa çağırıb və növbəti addımlarla bağlı razılaşmanı imzalayan digər ölkələrlə nə etmək barədə koordinasiya etdiyini açıqlayıb. 2015-ci ildə 6 ölkə İranın nüvə proqramına maneə törətmək məqsədilə birgə fəaliyyət planı imzalayıb. Tehran sərt iqtisadi sanksiyaların sona çatması əvəzində nüvə fəaliyyətlərini məhdudlaşdırmağa razılıq verib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51046416", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51023132", "doc1": "ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে দেয়া এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার যুক্তি তুলে বলেছে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এ কাজ করা হয়েছে। সোলেইমানি হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও এতে আমেরিকান সৈন্যদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। ইরানও জাতিসংঘে বলেছে যে নিজেদের রক্ষার জন্যই এ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। চিঠিতে কী বলা হয়েছে? জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিঠিতে বলা হয়, সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল। জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোন যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায়না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। \" এই অভিযান ছিল সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সামরিক ছাড়া কোন বেসামরিক মানুষ এবং তাদের সম্পদের কোন ক্ষতি হয়নি,\" চিঠিতে জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত। আরো খবর: বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফেরত দেবে না ইরান ‘বাতাস দিয়ে খাদ্য’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? ১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া", "doc2": "Donald Trump ABŞ-ın İrana \"davranışını dəyişdirənə\" qədər əlavə maliyyə və iqtisadi sanksiyalar tətbiq edəcəyini söyləyib. Bu barədə Birləşmiş Millətlər Təşkilatına (BMT) yazılan məktubda ABŞ hökuməti İran generalı Qasım Süleymaninin öldürülməsini \"özünümüdafiə aktı\" kimi qiymətləndirib. İranın BMT-dəki Səfiri Məcid Taxt Rəvançi buna cavab olaraq deyib ki, ABŞ-ın İrana sərt iqtisadi sanksiyaları davam etdikcə danışıqlar \"inanılmazdır\". Bundan əvvəl, ABŞ Prezidenti Donald Trump İraqdakı ABŞ qüvvələrinin yerləşdiyi hava bazalarına raket atmış İranın \"geri çəkildiyini\" söyləyib. Cənab Trump Ağ Evdən televiziya vasitəsilə çıxışında hücumlarda heç bir ABŞ və ya İraq vətəndaşının ölmədiyini və bazalara yalnız minimal zərər dəydiyini bildirib. Donald Trump ABŞ-ın İrana \"davranışını dəyişdirənə\" qədər əlavə maliyyə və iqtisadi sanksiyalar tətbiq edəcəyini də söyləyib. İraqın Ərbil və Əl-Əsəd bazalarına çərşənbə günü erkən saatlarda hücum edilib. İranın dövlət televiziyası hücumun ölkənin ən nüfuzlu hərbi komandiri Qasım Süleymaninin ABŞ prezidenti Donald Trump-ın göstərişi ilə Bağdadda pilotsuz təyyarə vasitəsilə bombalanaraq öldürülməsinə cavab olduğunu bildirib. İranın Ali Dini Lideri Ayətullah Əli Xameneyi İraqdakı ABŞ hərbi bazalarına zərbəni \"ABŞ-ın üzünə sillə\" adlandırıb. O, Amerikanın Yaxın Şərqdəki mövcudluğuna son qoymağa çağırış edib. ABŞ pilotsuz təyyarəsinin İraqın paytaxtı Bağdadda general Süleymanini və İranın dəstəklədiyi hərbi şəxslərini hədəf alması İran və ABŞ arasındakı münasibətlərin onsuz da pisləşdiyi vaxtda böyük gərginliyə səbəb olub. Çərşənbə axşamı ABŞ səfirliyinin yerləşdiyi Bağdadın ciddi mühafizə olunan Yaşıl Bölgəsinə azı iki raket düşüb, laki burada dağıntı və tələfat barədə məlumat verilməyib. Bununla yanaşı ABŞ-ın vitse-prezidenti Mike Pence CBS News-a verdiyi açıqlamaya görə, \"kəşfiyyat\"müəyyənləşdirib ki, İran müttəfiqi olan hərbi qruplardan ABŞ hədəflərinə hücum etməməyi istəyib. \"İranın Amerikanın hədəflərinə və ya mülki şəxslərə qarşı hərəkət etməməsi üçün eyni hərbi qruplara mesaj göndərməsi ilə əlaqədar bəzi həvəsləndirici kəşfiyyat məlumatları alırıq. Ümid edirik ki, bu mesaj əks-səda verməyə davam edər\", o bildirib. Xameneyi nə deyib? \"Dünən gecə biz onların üzünə sillə vurduq\", İranın Ali Dini Lideri Ayətullah Əli Xameneyi İraqdakı ABŞ hərbi bazalarına zərbə barədə danışarkən deyib. Onun sözlərinə görə, bu cür hərbi əməliyyatlar \"qarşıdurmaya kifayət etmir\". \"Əsas odur ki, ABŞ-ın korrupsiyalaşmış varlığına son qoyulmalıdır\", Ayətullah əlavə edib. ABŞ-ın Müdafiə Nazirliyinin məlumatına görə, yerli vaxtla təxminən gecə saat 1:30 radələrində İraqda ABŞ qoşunlarının yerləşdiyi iki aviabazaya çoxlu ballistik raket zərbələri endirilib. İtkilərin olub-olmadığı məlum deyil. Pentaqon İraqın Ərbil və Əl-Əsəd bölgələrində iki yerə hücum edildiyini bildirib. \"ABŞ-ın İraqdakı obyektlərinə hücum məlumatları barədə xəbərdarıq. Prezidentə məlumat verilib və vəziyyəti yaxından izləyir və milli təhlükəsizlik komandası ilə məsləhətləşir\", - Ağ Evin sözçüsü Stephanie Grisham bildirib. Hücumlara aid olduğu deyilən görüntülər İranın dövlət televiziyasında göstərilib Bu, qarşıdurmanın sonudurmu? Bu, 1979-cu ildə ABŞ-ın Tehrandakı səfirliyinin ələ keçirilməsindən bəri İranın ABŞ-a etdiyi ən birbaşa hücumdur. İran İnqilab Keşikçiləri hücumun Süleymaninin ölümünə cavab olduğunu deyib. \"Biz öz bazalarını onun terrorçu ordusuna vermiş bütün ABŞ müttəfiqlərinə İrana qarşı hər hansı təcavüzkar hərəkətlərin başlanğıc nöqtəsi olan hər bir ərazinin hədəfə alınacağı ilə bağlı xəbərdarlıq edirik\" - İranın dövlət İRNA xəbər agentliyinin verdiyi açıqlamada bildirilir. İranın xarici işlər naziri Cavad Zərif Twitter hesabında hücumun özünümüdafiə xarakteri daşıdığını və vəziyyətin müharibəyə çevrilməsini istəmədiyini yazıb. Bir müddət sonra ABŞ Prezidenti Donald Trump \"hər şey yaxşıdır\" yazıb, əlavə edib ki, hələlik itki ehtimalları qiymətləndirilməyib. Nə baş verib? ABŞ və koalisiya qüvvələrinin İraqda yerləşən hərbi bazası hücuma məruz qalıb - onlardan biri Əl-Əsəd, digəri isə Ərbil şəhərində baş verib. Tehran Qasım Süleymaninin dəfnindən bir neçə saat sonra yerli vaxtla təxminən gecə saat 1:30 radələrində İran ərazilərindən çox sayda ballistik raket atıb. Qərbi İraq bölgəsinin Ənbər əyalətində yerləşən Əl-Əsəd aviabazası azı altı raketlə vurulub. Həmin gün ABŞ Prezidenti Donald Trump ABŞ hərbi qüvvələrinin İraqdan çıxarılmasının ölkə üçün ən pis şey olacağını demişdi. ABŞ-ın İraqda 5000 hərbiçisi var. Böyük Britaniyanın Xarici İşlər İdarəsi BBC-yə deyib: \"Biz təcili olaraq faktları müəyyənləşdirmək üçün çalışırıq. İlk prioritetimiz ingilis heyətin təhlükəsizliyidir.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41263312", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41263783", "doc1": "গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনে চলমান সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সেখানে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে দেশটির কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ। এর আগে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরী বৈঠকে বসে। বৈঠকে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সেখানে সেনা অভিযান বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানও জানানো হয়। বৈঠক শেষে নিরাপত্তা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত টেকেদা আলেমু এ কথা জানান। মি: আলেমু বলেছেন, \"নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রাখাইন রাজ্যের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যে সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে সেটিরও নিন্দা জানিয়েছে তারা। সেনা অভিযানের সময় অতিমাত্রায় সহিংসতার তারা উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করা, পরিস্থিতি শান্ত করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্বাভাবিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যার সমাধান করতে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও তাগিদ দিয়েছে।\" গত নয় বছরের মধ্যে এই প্রথম মিয়ানমার নিয়ে বিবৃতি দিতে সম্মত হয়েছ নিরাপত্তা পরিষদ। এদিকে এর আগে লাখ লাখ রোহিঙ্গা যারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের সেই পরিস্থিতিকে 'বিপর্যয়কর' ও 'অত্যন্ত দুঃখজনক' বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিউ ইয়র্কের একটি সংবাদ সম্মেলনে মি. গুতেরেস বলছেন, \"মিয়ানমারে দশকের পর দশক ধরে যে উৎপীড়ন চলছিলো তা এখন এমনই দশায় পৌঁছেছে যে, মিয়ানমারের সীমানা ছাড়িয়ে তা এখন আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণ হয়ে ওঠেছে। সেখানে মানবিক অবস্থাও 'বিপর্যকর'।\" এরকম পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্বের সকল দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: আকাশ থেকে ধারণ করা ছবিতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির", "doc2": "Antonio Guterres qeyd edib ki, deyildiyi kimi təhlükəsizlik qüvvələri tərəfindən Rohinca kəndlilərinə hücumlar tamamilə yolverilməzdir. Ordu qiyamçılara qarşı mübarizə apardığını və dinc sakinləri hədəfə aldığını təkzib edir. BMT Təhlükəsizlik Şurası zorakılığın dayandırılması üçün təcili addımlar atmağa çağırıb. Ötən aydan bəri təxminən 379 min Rohincalı zorakılığa görə Banqladeşə gedib. Onların kəndlərində bütün evlər yandırılıb. Buddistlərin çoxluq təşkil etdiyi Raxin vilayətində yaşayan Rohincalar, onları qanunsuz miqrantlar adlandıran Myanmada uzun müddətdir ki, təqiblərlə üzləşiblər. Onlar uzun illərdir ki, Birma kimi də tanınan Myanmada yaşasalar da, vətəndaşlıqla təmin edilmirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49033135", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49115549", "doc1": "সন্তান হত্যাকারীদের এই তালিকায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গৃহিণী থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফল ব্যবস্থাপকও। সন্তানকে খুন করবার এই ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটছে না, অ্যামেরিকাতেও প্রতি চার জনের একজন মা নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতে চায় বলে জানাচ্ছে মনোবিজ্ঞানীরা। ২০১৪ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যামেরিকায় গত ৩২ বছরে যত খুন হয়েছে তার মোট ১৫ শতাংশই মূলত মায়ের হাতে শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা। ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে ২১ বছরে মোট ১১ হাজার শিশু অভিভাবকদের হাতে নিহত হয়েছে। গড়ে এই মৃত্যুর সংখ্যা বছরে ৩৪০টিরও বেশি। কিন্তু রাশিয়ার চিত্রটা যেনো আরো কঠিন। রাশিয়ায় টিকে থাকতে গেলে অনেক শক্ত ও অনমনীয় মনোভাবের হতে হয়। ফলে কেউ সেখানে তার মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে আরেকজনের সাথে সহজে কথা বলতে চায় না। শিশু হত্যার এই কাহিনীগুলো মূলত দেখাচ্ছে যে, সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই অনেক মা সন্তান জন্মদান পরবর্তী বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু পরিবারের নিকটজনেরা অনেকক্ষেত্রেই এই বিষণ্নতাকে চিহ্নিত করতে পারেন না। ফলে ঘটে দুঃখজনক পরিণতি। যত ট্যাবু মায়েরা কেন তাদের সন্তানদের খুন করেন সেই বিষয়ে রাশিয়ান নারীদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসির সাংবাদিক ওলিসা গেরাসিমেঙ্কো ও স্ভেত্লানা রেইটার। তাদের অনুসন্ধান থেকেই জানা যায়, মাতৃত্বকে যেভাবে মহিমান্বিত করে দেখানো হয় সেই ভাবনায় বদল আনা দরকার। আলোয়না আলোয়না পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ। পিয়ত্রকে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্য কাটানোর সময় সন্তান আগমনের খবরে তারা দু'জনেই খুব উৎফুল্ল ছিল। জন্মের আগেই শিশুর জন্য পোশাক-আশাক কেনা শুরু করেন তারা। শুধু তাই নয়, মাতৃত্ব ও শিশুর নানা বিষয়ে জানতে যোগ দেন প্রাক-প্রসবকালীন কিছু ক্লাসে। কিন্তু জন্মদানের পর মায়ের মানসিক সমস্যা কী কী হতে পারে - তা নিয়ে ক্লাসে কেউ কথা বলেনি। জন্মদানের পর আলোয়না ইনসমনিয়াতে আক্রান্ত হয় এবং সব মিলিয়ে তাল সামলাতে হিমশিম খেতে থাকে। এই পরিস্থিতিই ধীরে ধীরে মনোরোগ হিসেবে দেখা দেয় এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধ সেবন শুরু করেন তিনি। একদিন পিয়ত্র বাড়ি ফিরে দেখে তাদের সাত মাসের শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। আর আলোয়নাকে পাওয়া যায় মস্কো শহরের সন্নিকটে একটি লেকের ধারে। পরবর্তীতে জানা যায়, নিজের সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে মারার পর আলোয়না নিজেও ডুবে মরতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকেন। এখন তার বিচার কার্যক্রম চলছে। রাশিয়ার অপরাধবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার আগে অন্তত ৮০ ভাগ নারী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং মাথাব্যাথা, ঘুমহীনতা ও অনিয়মিত মাসিকের ব্যপারে পরামর্শ নেন। এই নারীরা কারা? রাশিয়ার এটি একটি ট্যাবু। রাশিয়ান আইনে শিশু হত্যার বিষয়টি ট্যাবু-ক্রাইম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৮ সালে এমন ৩৩টি ঘটনার বিচার চলেছে। তবে অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, যে পরিমাণ ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় বাস্তবে তা ঘটে অন্তত ৮ গুণ বেশি। ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিস্ট মার্গারিটা কাচেভা জানান, নিজের সন্তানকে মেরে ফেলেছে - এমন অন্তত তিন-চারজন প্রতিমাসেই তাদের হাসপাতালে আসে। বিবিসি যে মায়ের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখেছে সেখানে হিসাবরক্ষক, শিক্ষক, বেকার নারী, সমাজকল্যাণ বিশেষজ্ঞ, রেস্টুরেন্টের কর্মী থেকে শুরু করে আরো নানা পেশার অন্তত ৩০জন নারী রয়েছে। অনেক নারী যারা তাদের সন্তানদের খুন করেছে তাদের স্বামী, সংসার, বাড়ি ও চাকরি রয়েছে এবং তারা কোন প্রকার নেশাতেও আসক্ত নয়। ডাক্তাররা বলেন, সন্তান জন্মদানের পরে, সুপ্ত মনোরোগ সহসাই বেড়ে যেতে পারে। যে নারী গভীর বিষন্নতায় আক্রান্ত তার দৈনন্দিন কাজে-কর্মে যে এটি সবসময় প্রকাশিত হয় তেমন নয়। কিন্তু গর্ভধারণ, সন্তান জন্মদান ও মেনোপজের ঘটনায় তা হঠাৎই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আন্না নামের ৩৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষকেরো রয়েছে এরকম আরেক কাহিনী। আন্না তার সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মারতে চেয়েছিল। পরে শিশুটিকে কোনমতে উদ্ধার করা হয় আর আন্নাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে যে, আন্না ক্রনিক স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত। ড. কাচেভা বলেন, মনোরোগে আক্রান্ত হয়ে যে নারী তার সন্তানকে হত্যা করেছে তাকে যে দেখেই পাগল মনে হবে এমন নয়। বরং ঘটনাটি ঘটার আগ পর্যন্ত সে স্বাভাবিক জীবনই কাটাতে পারে। যেমন ২১ বছর বয়সী আরিনা। নিজের শিশুকে বুকে নিয়ে সে নয়তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিল। লাফিয়ে পড়ার পরেও অবিশ্বাস্যভাবে তারা দু'জনেই বেঁচে যায়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করার পর আরিনাকে হাসপাতালে পাঠানোর হলে তারও স্কিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে। অ্যামেরিকার মত রাশিয়াতেও আদালত দোষী মায়েদের নানান ধরণের শাস্তি দিয়ে থাকে। বিশেষত, হত্যাকারী মা যদি পাগল বলে প্রমাণিত না হয় তাহলে তার সাজা হতে পারে দীর্ঘ কারাবাস। বলা হচ্ছে, যে নারীরা সন্তানদের খুন করছে তারা নিজেরাও নিজেদের শৈশবে কোন না কোন ভাবে নিগৃহীত ছিলেন। রাশিয়ান এক গবেষণা বলছে, হত্যাকারী মায়েদের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগই দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন এবং অন্তত ৮৫ ভাগই বিবাহিত জীবনে দ্বন্দ্ব ও কলহে জড়িত। গবেষকরা বলছেন, মিথ্য বলা, তর্ক করা, ঝগড়া করা এবং অ্যালকোহলে আসক্তির সাথে পরবর্তীতে শিশু হত্যার সম্পর্ক রয়েছে। আর নিজের বাবা-মায়ের সাথে যাদের সম্পর্ক জটিলতাপূর্ণ, তারাও পরবর্তীতে শিশুর প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। হত্যাকারী মায়েদের অধিকাংশই আসলে আবেগীয়, যৌন ও শারীরিকভাবে কোন না কোনভাবে নির্যাতিত। অবশ্য অনেক আইনজীবী সন্তান হত্যাকারী মায়েদের পক্ষে মামলা নিতে চান না। ৩৩ বছর বয়সী তাতিয়ানা। সে নিজেও ওইসব হন্তারক মায়েদের তিরস্কার করতো। কিন্তু নিজে মা হবার পর তার দুনিয়াটাই একদিন বদলে গেলো। তার মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দিলো এবং সে নিজেও নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার কথা ভাবতো। ফলে, এই সংকট থেকে বাঁচতে সে একদিন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়। প্রতিরোধ এই সব হত্যাকাণ্ড বন্ধের অন্যতম উপায় হিসেবে গর্ভধারণ নিরুৎসাহিত করা হয়। পাশাপশি রাশিয়ান ও পশ্চিমা ডাক্তারেরা মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে, বিশেষ করে, সন্তান জন্মদান পরবর্তী বিষণ্নতা নিয়ে মনোযোগী হবার পরামর্শ দিয়েছেন। ড. মার্গারিটা কাচায়েভা বলেছেন, রাশিয়ায় নারীদের সংকটকালীর ব্যবস্থার জন্য সেন্টার রয়েছে। কিন্তু সেগুলোও আধ-খালি পড়ে থাকে। কারণ রাশিয়ান নারীরা মনে করে যে, তার মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বললে হয়তো সন্তানকে তাদের থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।", "doc2": "Analar öz övladlarını necə öldürə bilirlər və bundan sonra necə yaşaya bilirlər? Qanundankənar hərəkətlərdən ziyan çəkmiş azyaşlı uşaqların hüquqlarını və onların qanuni maraqlarını qorumaq üçün məqalədə adlar dəyişdirilib. Moskvanın cənub-qərbində yaşayan Pyotr Krotenko işdən qayıdanda mənzili qaranlıqdı, səs-səmir gəlmirdi. O, hamamın işığını yandıranda yeddi yaşlı oğlunu suyla dolu vannada görür. \"Ölmüş olduğunu niyəsə dərhal başa düşdüm\", - Krotenko o günü belə xatırlayır. Arvadı Alyona evdə yox idi. Sonrakı gün yoldan keçənlər onu Moskva kənarındakı gölün sahilindən tapırlar. İstintaqa verdiyi ifadədə Alyona deyir ki, uşağını öldürəndən sonra özünə sui-qəsd etməyə gedib. Gölün sahilində bir şüşə araq içib, sonra suya yaxınlaşıb və orda huşunu itirib. Bu hadisədən iki gün əvvəl Alyona ərindən xahiş edib ki, onu xəstəxanaya aparsın. Pyotr arvadının sözlərinə ciddi yanaşmayıb: \"Alyona dərman qəbul edirdi. Ona görə fikirləşdim ki, hər şey yaxşı olacaq\". Alyona isə istintaqda ifadəsində uşağa baxa bilməyəcəyindən qorxduğunu bildirib: \"Ən yaxşısı buna son vermək idi, heç kim əzab çəkməsin deyə\". Qadın danışıb ki, uşağı yedizdirəndən sonra onunla söhbət edib: \"Soruşdum ki, onun üçün hansı daha yaxşıdır - yaşamaq, yoxsa ölmək? Sonra vannanı suyla doldurub gözlərinə baxa-baxa beş dəfə onu suya salıb çıxardım\". Pyotr əmindir ki, arvadında depressiya olduğunu ikicə kəlməylə də olsa ona deyən olsaydı, bütün bunlar baş verməzdi: \"Barı gələcək analar üçün kurslarda bircə məşğələni buna həsr etsinlər!\" May ayında Alyonaya \"şəxsiyyətin polimorf pozuntusu\" diaqnozu qoyub psixiatrik klinikaya müalicəyə göndəriblər. \"Onu xəstəxanaya aparsaydım, bunlar olmayacaqdı\" İqtisadçı Alyona kimyaçı Pyotrla Qorki parkındakı leksiyada tanış olmuşdular. Üç il görüşəndən sonra evlənmiş, bir il sonra oğulları dünyaya gəlmişdi. Onu ikisi də arzulamışdı: hələ əvvəldən çarpayı, uşaq arabası, bir neçə pijama almışdılar. Doğuş məşhur ginekoloq Mark Kurserin rəhbərlik etdiyi Perinatal Tibb Mərkəzinin pullu şöbəsində baş tutmuşdu. Hamiləliyə nəzarət də daxil, 200 min rublluq müqavilə imzalanmışdı. Dekretdə olanda Alyona hamilələr üçün kursa getmişdi. \"Beş, ya altı məşğələdə ona uşağı bələməyi, yedizdirməyi öyrətmişdilər, uşaq xəstəlikləri və uşağa qulluq haqqında məlumat vermişdilər. Kursda deyirdilər ki, doğmaq nağıl kimi gözəldir və hər şey yaxşı olacaq, analıqsa qadın üçün hədiyyədir. Amma psixi və ya psixoloji problemlərin ola biləcəyi barədə bir kəlmə də danışmırdılar\", - Krotenko belə deyir. Pyotr arvadının əvvəllər psixiatr nəzarətində olduğunu bilməyib: \"Keçmişdə onun psixopatik problemləri olubmuş - səslər eşidirmiş, gözünə cin-şeytan görünürmüş. Mən bunu ancaq uşağımız olandan sonra bildim. Alyona sağalıbmış, amma belə məlum olur ki, doğuş stress və residiv yaradıb\". Doğulandan sonra uşaqda pnevmaniya yaranıb, onu reanimasiyaya yerləşdiriblər. Uşaq sağalandan sonra Alyonada yuxusuzluq əmələ gəlib. \"O deyirdi ki, uşağa baxa bilmir. Buna görə psixiatra müraciət etmişdik. Həkim problemin nədə olduğunu anlamışdı, arvadıma dərman müalicəsi yazmışdı. Amma o mümkün təhlükələr barədə bizi xəbərdar etməmişdi, deməmişdi ki, ananı uşaqla tək qoymayın\". Uşaq ay yarımlıq olanda Alyonanın vəziyyəti yaxşılaşıbmış, amma bu, uzun sürməyib. Pyotr o aylarda arvadının çox yorulduğunu deyir: \"Biz bir neçə ay müxtəlif həkimlərin qəbuluna getdik. Onların heç biri bizi təhlükədən xəbərdar etmədi\". Alyonanın işinə yazda, Moskva məhkəmələrindən birində baxılıb. Pyotr bütün iclaslara gedib, arvadının salındığı \"akvarium\"un yanında durub onunla söhbət edib, aldığı köynəklərin əyninə gəlib-gəlmədiyini, təcridxananın isti olub-olmadığını soruşub. Qaynanası da orda olurmuş, dəhlizdə Pyotra nəvəsindən - Alyonanın qardaşı qızından danışırmış, deyirmiş ki, o, artıq çarpayının kənarlarından tutub gəzməyə, telefona dartınıb anasını çağırmağa başlayıb. \"Alyona oğlumuzu öldürmək istəməyib, onun davranışı psixoloji qəzanın nəticəsidir. Arvadımın rastına yaxşı həkimlər çıxsaydı, o xahiş edəndə mən onu həkimə aparsaydım, bu hadisə baş verməyəcəkdi\". Pyotrun təlaşı anlaşılandır: o və arvadı bütün dünyada uşaq qətlinin əsas səbəblərindən biri olan problemlə üzləşiblər. Amerikalı alim-kriminalist Fillip Resnikin araşdırmasına görə, uşağını öldürən qadınların 40 faizi hadisədən əvvəl psixiatrın və ya hər hansı başqa bir həkimin müayinəsindən keçmiş olurlar. Resnik bunu \"sarsıdıcı hal\" hesab edir. Rusiyalı kriminoloqlarsa deyirlər ki, qadınların 80 faizi cinayət gününə qədər baş ağrısı, yuxusuzluq, menstrual dövrün pozulması kimi müxtəlif şikayətlərlə həkimə müraciət edirlər. Alyona özü BBC əməkdaşlarıyla görüşməkdən imtina edib. \"Öz vəziyyətimi izah etmək və öz hərəkətimə qiymət vermək istəmirəm. Mənim üçün bu, çox şəxsi mövzudur, xatirələr çox acıdır. Bundan başqa, başıma gələnlər kifayət qədər spesifikdir, geniş yayılmayıb, ona görə də bu haqda məlumat ümumi işə kömək etməz\", - istintaq təcridxanasından göndərdiyi məktubda o, belə yazıb. Alyona haqlı deyil. Vladimir, Nijnı Novqorod, Kemerovo məhkəmələrinin dəhlizlərində, ya da Kaluqa həbsxanalarında müttəhimlər bizdən oxşar hadisələr barədə eşidəndə bu, xüsusilə aydın görünürdü. Övlad itkisinin və ananın mühakimə edilməsinin əzabını çəkən ailələr bu məsələdə tək olmadıqlarını eşidəndə xeyli yüngülləşirlər. Kimdir onlar? Bu az öyrənilmiş və tabulaşdırılmış cinayət - uşağın anası tərəfindən öldürülməsi \"filisid\" adlanır. Bu cinayətin fərqli növləri var. \"Neonatisid\" - təzə doğulmuş körpənin öldürülməsi. \"İnfantisid\" - bir yaşı tamam olmamış körpənin öldürülməsi. Resnikin araşdırmasına görə, uşaqların öldürülməsi təhlükəsi ilk beş ildə xüsusilə böyükdür. Valideynlər, adətən, yaşı ikidən az olan uşaqlarını öldürürlər, həm də daha çox qışda və səhər 4-ə yaxın. Balaca uşaqların öldürülməsi cinayətiylə bağlı xüsusi qanunlar dünyanın 20-dən çox ölkəsində var (Braziliya, Kanada, Böyük Britaniya, Almaniya, İtaliya, Yaponiya, Yeni Zenlandiya, Filippin, Cənubi Koreya və s.). Bu qanunlar bir yaşdan kiçik uşağını öldürmüş analara daha yüngül cəzalar nəzərdə tutur, çünki XX əsrin əvvəlindən etibarən yeni doğmuş və ya əmizdirən anaların ruhi vəziyyəti qeyri-sabit hesab olunur. Filisidlə bağlı Rusiyada da xüsusi qanun mövcuddur - RF CM-in 106-cı maddəsi (ananın yeni doğulmuş körpəni öldürməsi). Ancaq bu maddə bir yaşdan yox, bir aydan kiçik olan uşaqların öldürülməsi halları üçündür. Maksimum cəza müddəti 5 il azadlıqdan məhrum etmədir. Digər övlad qatillərinə RF CM-in 105-ci maddəsinin \"b\" bəndi şamil edilir - ümumi rejimli cəzaçəkmə müəssisəsində 20 illik həbs. Bütün Rusiyanı əhatə edən statistika yoxdur. Rusiya Ali Məhkəməsi nəzdindəki Məhkəmə Departamentinin məlumatına görə, 2018-ci ildə məhkəmələrdə 33 belə hala baxılıb. Kuban Universitetinin kriminalistika fakültəsinin əməkdaşları hesab edirlər ki, üstü açılmamış epizodların sayı qeydə alınmış cinayət işlərinin sayından səkkiz dəfə çoxdur. \"Son vaxtlar dostlarım məndən soruşurlar: bu cinayətlərin sayı artıbmı? Cavab verirəm ki, yox, əvvəllər də belə olub. Hər ay qadın şöbəmizdəki 20 çarpayıdan 3-4-ündə uşaq qatilləri olur. Digər xəstəxanalarda və bölgələrdə statistika fərqlidir\", - Serbski adına Sosial və Məhkəmə Psixiatriyası Mərkəzinin elmi işçisi Marqarita Kaçayeva belə deyir. Vladimirli mühasib, Nijnı Novqoroddan olan tərbiyəçi, belqorodlu prokuror, Bratsk meriyasının sosial məsələlər üzrə məsləhətçisi, ryazanlı ofisiant, Moskva Açıq Dizayn İnstitutunun məzunu, Dərbənddən çoxuşaqlı evdar qadın, tomsklu satıcı. Araşdırdığımız 30 cinayət hadisəsinin qəhrəmanları müxtəlifdirlər. Qatil analarla bağlı yarıevsiz, həmişə kefli, narkomanla yaşayan qadın stereotipinin əksinə olaraq onlardan çoxunun əri, evi və işi var, hər hansı zərərli vərdişləri yoxdur. Kuban Universitetinin araşdırmalarına görə, uşağını daha çox fertil dövrdə olan (30-40 yaş arası) qadınlar öldürür. Onların 74 faizdən çoxu heç vaxt psixonevroloji dispanserdə qeydiyyatda olmayanlardır, yarısından çoxu ərdə olub və başqa uşaqları da var, əvvəlki doğuşlardan sonra da psixi pozuntu keçiriblər. Səhiyyə işçiləri bilirlər ki, ananın heç fərqinə də varmadığı dövri-latent psixi xəstəlik əksər hallarda məhz doğuşdan sonra kəskin hal alır. Bu, o deməkdir ki, adi halda üzə çıxmayan xroniki psixoloji pozuntu qadının normal həyat yaşamasına problem yaratmır. Bu xəstəliyi qadın orqanizminin üç əsas stres dövrü - hamiləlik, doğuş və klimaks oyada bilir. \"Həbs olunacaqsız, sizə ürəyim yanır\" - Alo, \"Təcili yardım\", mənim uşağım ölüb. - Neyləyib? - Ölüb? - Necə yəni? - Elə belə. - Hardan zəng vurursuz? - Kukuşkino, ev 1. - Uşağınız xəstəydi, yoxsa necə? - Çağaydı, doğuş evindən təzəcə gəlmişik. - Adınız, soyadınız, atanızın adı? - Frolova Anna Nikolayevna. - Bu günlərdə biz sizi doğum evinə aparmışdıq. - Bəli, bəli... - Bəs, necə oldu ki, uşağınız öldü? Eləcə öldü, vəssalam? Yemək yeyirdi, yoxsa yatırdı? - Əslində, günah məndədir. - Necə yəni? - Elə belə. - Sizi həbs edəcəklər. Yox, mən qorxutmuram, sizə ürəyim yanır. 38 yaşlı Anna Frolova Vladimir şəhərinin \"Təcili yardım\" xidmətinə 7 iyul 2018-ci ildə səhər tezdən zəng vurmuşdu. Onun feldşerlə telefon danışığı RF CM-in 106-cı maddəsiylə açılmış cinayət işinə tikilmiş səhifələrdən birində əks olunub. Tərbiyəçi ixtisası üzrə təhsil almış Frolova qızını 2018-ci ilin iyun ayında dünyaya gətirmişdi. Onun 18 və 10 yaşlı oğulları istintaqa bildiriblər ki, ölən bacılarının doğulmasını \"valideynləri böyük səbirsizliklə gözləyiblər\". Amma doğuş yaxınlaşdıqca Anna özünü pis hiss etməyə başlayıb: qastriti şiddətlənib, düşük təhlükəsinə görə xəstəxanada yatıb, doğuş vaxtından tez başlayıb. Körpə yarımçıq doğulub, bundan sonra Frolovanın vəziyyəti daha da pisləşib. \"Dözülməz, fasiləsiz ağrı vardı. O ağrıdan başqa heç nə hiss etmirdim. Qarnım durmadan ağrıyır, ağrıyır, ağrıyırdı... Bütün diqqətim o ağrıya yönəlmişdi. Qeysər kəsiyinin yeri də çox tez irinlədi. Hələ doğum evindəykən psixoloji böhran keçirmişdim - mən bacarmayacam, mən bu işin öhdəsindən gələ bilməyəcəm deyə\". Xəstəxanada Annanı psixiatra göstərirlər. Həkim ona məsləhət görür ki, sakitləşməyə çalışsın, özünü dəniz kənarında hiss etsin, evə dönəndən sonra psixiatra müraciət etsin. Anna isə ona belə cavab verib: \"Mən deyirəm ki, ağrılarım dözülməz həddədir, bacarmıram! İndi ağrıdan divara dırmaşacam!\" Sonra baş verənlər nəinki Frolovanın ərini, uşaqlarını və rəfiqələrini, hətta qonşularını və polisi də narahat edə bilərdi. Əvvəlcə Anna taksi çağırıb doğum evindən qaçır, həm də uşağını götürmədən. Qızının dalınca xəstəxanaya əriylə birlikdə qayıdır. Tezliklə əri Moskvaya, rotasiya üsuluyla tapdığı işdə çalışmağa gedir. Anna mənzili bir neçə dəfə \"Belizna\" yuyucu vasitəsilə təmizləyir, bunu dezinfeksiya üçün etdiyini deyir: \"Mən tikişimdəki irinlə sizə mikrob yoluxdurmuşam\". Gecələmək üçün körpəsini də götürüb rəfiqəsigilə gedir, ona evdə tək qala bilməməsindən şikayətlənir. Sonrakı gün uşaqlarını rəfiqəsigildə qoyub \"körpənin çarpayısını gətirməyə\" getdiyini deyir, amma anasının qəbri üstünə yollanır. Üçüncü günün səhəri uşağı da götürüb evdən ayaqyalın çıxır, yolda onu saxlayan polisə hara getdiyini deməkdə çətinlik çəkir. \"O hadisəni xatırlamıram, amma yəqin ki, kömək axtarmışam. Ağrılarımla tək qalmışdım, ona görə\", - Anna belə deyir. Polis şöbəsindən onu qaynanası çıxarıb evə gətirir. 15 günlük Vikanı çarpayısına yerləşdirib yedizdirirlər, qaynanası televizoru işə salır. Qaynana hadisədən sonra istintaqa verdiyi ifadədə deyəcəkdi ki, Anna \"həyəcanla bir neçə dəfə uşağa yaxınlaşıb nəfəs alıb-almadığını yoxladı, bir saat sonrasa çarpayının yanında durub ağ balışı onun içinə qoydu\". Qaynana fikirləşib ki, gəlini uşağın yerini rahatlayır, ona görə də televizora baxmağa davam edib. Səhər 10-da Annaya xalası qızı zəng vurub, soruşub ki, nə vaxt təbrikə gələ bilər. \"Sən hələ bilmirsən? Bizdə dəfn mərasimi olacaq. Mən uşağımın çarpayısında onun cəsədini aparıram. Tamam çürümüşəm, onu mikroba bulaşdırdım, o da öldü\", - bunu müstəntiq istintaq materiallarından oxuyur. Səhər 11-də Anna \"Təcili yardım\" xidmətinə zəng vurmağa başlayır. İstintaq materiallarında qeyd edilib ki, evin girişində o, həkimi bu sözlərlə qarşılayıb: \"Bir baxın, deyəsən, mən onu öldürmüşəm\". Məhkəmədə tibb işçisi bildirib ki, körpə nəfəs almırmış, üstündə ağ balış, bədənində göy-qırmızı ləkələr varmış (oksigen çatışmazlığının əlaməti). \"Klinik ölüm\" diaqnozu qoyan həkim körpəyə adrenalin iynəsi vurub, süni nəfəs verib, ürəyini masaj edib. Körpə qusub və nəfəs almağa başlayıb. İlkin diaqnoz kimi \"Boğulma? Postreanimasiya xəstəliyi\" yazıb körpəni xəstəxanaya aparıblar. Avqustun 1-də isə Vikanı evə qaytarıblar. Anna barəsində öz uşağını öldürməyə cəhd ittihamıyla cinayət işi açılıb, ekspertiza üçün onu psixiatrik klinikaya göndəriblər. Frolova 3 ay orda qalıb. \"Həkimlər mənə \"Amitriptilin\", \"Zolasta\", \"Elzepam\" həbləri təyin etdilər, vitamin iynələri vurdular, vəziyyətim xeyli yaxşılaşdı. Ekspertiza mənim dəli olduğum haqda rəy verdi. Onlar suallar verib məndə doğuş sonrası stres və psixoz olub-olmadığını müəyyən etmək istəyirdilər. Müəyyən etdilər, amma bunu əvvəldən etsəydilər, bəlkə heç nə baş verməyəcəkdi. Mən dəfələrlə demişdim - \"mənə professional yardım lazımdır, mənim vəziyyətim normal deyil\", - Frolova belə deyir. Anna özünü günahkar hesab etmir, deyir ki, qızının boğulmasını istəməyib, çarpayıda balış-filan da olmayıb, \"Təcili yardım\"a da uşağın yaxşı nəfəs almamasından narahat olduğu üçün zəng vurub. Məhkəmədə qaynanası istintaqa verdiyi ifadəsindən imtina edib, deyib ki, çarpayıda balış yoxuydu, körpənin bədənindəki ləkələrsə həkim ona iynə vurandan sonra yaranıb. Xəstəxanada Frolovaya xroniki şizofreniya dizqnozu qoyublar. \"Bu, heç də həmişə dəlilik demək deyil. Psixi pozuntu deyəndə cəmiyyət bunu cin-şeytanla danışmaq kimi başa düşür, dəlilik köynəyi haqda düşünür. Bu, yanlış yanaşmadır. Psixi pozğuntusu olan qatil analar bu hadisəyə qədər heç vaxt psixiatrın qəbulunda olmadan normal yaşaya, sosial həyat tərzi sürə bilirlər\", - Serbski adına mərkəzin professoru Kaçayeva belə deyir. Belə hallarda şizofreniyadan sonrakı ikinci diaqnoz \"doğuş sonrası reaktiv vəziyyət\"dir. Bu, psixikanın müvəqqəti pozulması, o cümlədən, kəskinləşmiş psixotik depressiya və xüsusilə təhlikəli olan doğuş sonrası psixozdur. Bu hal hər min qadından bir və ya ikisində müşahidə olunur. Emosional sayıqlama və paranoya bu xəstəliyin əlamətləri ola bilər. Şizofreniya, psixoz, reaktiv vəziyyətlər - bütün bu diaqnozlar cinayət törətmiş qadınların normal ruhi vəziyyətdə olmasını istisna edir. Belələrini cinayətə görə cəzadan azad edir və məcburi müalicəyə göndərirlər. Frolovanın işi üzrə dövlət ittihamçısı da bunu xahiş edib. Son məhkəmə iclaslarından birinə Anna uşağıyla birlikdə gəlib - bir yaşlı Vikaya baxacaq başqa adam olmadığına görə. Məhkəmə zalında bir il əvvəl iki dəqiqə nəfəssiz qalmış uşaq; müstəntiqlərin fikrinə görə, onu boğmaq istəyən anası və körpəyə süni nəfəs verən həkim yanaşı oturublar. \"Heç utanmırsanmı? Niyə yalan danışırsan? Bumeranq olub üstünə qayıdacaq bu əməlin, heç vaxt öz uşağın olmayacaq\", - Anna qışqıra-qışqıra həkimə belə deyib. Onun məhkəməsi davam edir. \"Bizə susmağı öyrədiblər, keçmişdəki kimi\" Bu cür analarda müşahidə edilən ciddi psixi xəstəliklər onlara qoyulan depressiya diaqnozu fonunda üzə çıxır. Əvvəlcə nevrotik depressiya (çaşqınlıq, stres, zəiflik) kimi başlayan vəziyyət cinayət gününə yaxın psixoz xarakteri alır. Kaçayeva deyir ki, \"Bu, psixotik səviyyəyə çatan kədərdir. O vəziyyətdə olan şəxslərdə yaşamağın mənasızlığı, lazımsızlığı barədə fikirlər yaranır\". 2019-cu ilin 17 fevral səhərində 21 yaşlı Ufa sakini Arina Rafina ətli makaron yeyən qızını masanın arxasından götürüb onunla birlikdə eyvana çıxıb. Bir saat sonra o öz anasıyla birlikdə psixiatra gedəcəkdi, bunu o özü istəmişdi. Amma Arina doğmalarının gəlməsini gözləmədən özünün və qızının həyatına son vermək qərarına gəlib. Uşaqlıqdan qapalı və sakit bir qız olan Rafina 19 yaşında ərə getmişdi. Uşağını əri əsgərlikdə olanda doğmuş, bir il valideynlərinin yanında yaşamışdı. Doğuşdan sonra nevroloq ona təkrar müayinə yazmış, amma Arina onun tövsiyəsinə əməl etməmişdi. Anası İrinanın dediyinə görə, əsgərlikdən qayıdandan sonra əri onun qızıyla pis davranırmış: \"Söyürdü, aşağılayırdı. Ona \"səysən, eybəcərsən, qoca arvada oxşayırsan\" deyirdi. Bizə qızımla görüşməyi qadağan etmişdi. Arina qayıdıb bizmlə yaşamaq istəyəndə gəlib uşağı götürürdü\". Onun ixtisasca uşaq masajisti olan kürəkəni məhkəmədə deyib ki, Arinaya cəmi bir şillə vurub və üzünü yerə sürtüb - arvadı yerdəki uşaq nəcisini tez silmədiyi üçün. O, BBC-yə müsahibə verməkdən imtina edib. Anası Arinaya belə deyib: ya boşan, ya da daha ərindən şikayətlənmə, özün getmisən ona, indi dözərsən, sonra sevərsən. Bu gün İrina çox peşmandır: \"Axı, bizə həmişə susmağı öyrədiblər, keçmişdəki kimi\". O, məhkəməyə hələ doğulmamış nəvəsinin dəfnindən çıxıb gəlib - ikinci qızının hamiləliyi səkkinci ayda pozulub. Əlində valokordin və qızının öldürmək istədiyi nəvəsinin şəkli olan telefon var. Arina və qızı sağ qalıblar - 9-cu mərtəbədəki mənzilin aşağısında böyük qar topası olub. Yoldan keçənlər onları ordan çıxaranda Arina elə hey \"Mənə bunu etməyi kənar səslər dedi\" deyirmiş. Xəstəxandan qadını təcridxanaya göndəriblər, qızını isə atasına veriblər. İntihara cəhddən bir neçə gün əvvəl Arina evə polis çağırıb, deyib ki, əri onu öldürmək üçün bıçaq itiləyir (O, giriş qapısının açarını itiləyirmiş). Sonra iki gün Arina evdə gödəkçəylə gəzib. Həkimə getməyə cəmi iki saat qalmışsa hövsələsi tükənib. Həkimlər Arinaya şizofreniya diaqnozu qoyublar. \"Belə dünyada niyə əzab çəksinlər ki?\" Həm şizofreniyadan, həm də dərin depressiyadan əziyyət çəkən qadınlar övladlarını öldürmə səbəblərindən danışanda çox vaxt belə deyirlər: \"Mən ona yaxşılıq etdim\", \"Mən onun üçün çox pis anayam\", \"Bu dünya o qədər qorxuncdur ki, uşağım belə dünyada yaşamasa yaxşıdır\". Psixiatrların və kriminalistlərin işlətdiyi bir termin var - \"mərhəmətdən öldürmə\" (mercy killing). Bu fenomenə \"genişləndirilmiş sui-qəsd\" də daxildir - ana özünü öldürməyə qərar verəndə uşaqlarını da özüylə \"götürür\". \"O, uşağına və ya uşaqlarına baxıb düşünür: \"onlar belə dünyada niyə əzab çəksinlər ki?\" Amma cinayəti törədəndən sonra belə anaların vəziyyəti yüngülləşmir. Ona görə də özlərinə sui-qəsd edirlər - birinci dəfə alınmasa, bunu ikinci, üçüncü dəfə təkrarlayır\", - professor Kaçayeva belə deyir. \"Bəzən kimlərsə onlara mane ola bilirlər, Bizim mərkəzə daha çox belələrini gətirirlər. Məsələn, bu yaxınlarda bir qadın özünün 3 və 5 yaşlı uşaqlarının dalınca qaçıb onlara yuxu dərmanı içirmək istəyib. Elə bu vaxt əri gəlib çıxıb, arvadında reseptsiz satılmış dərmanı görüb ona mane olub, cinayətin qarşısını alıb. Hərçənd onda da günah varmış - xəyanət edirmiş, evə gəlmirmiş\". \"Qohumları xatırlayıblar ki, qadın əvvəllər tez-tez yadplanetlilər haqqında danışırmış. Amma cinayət işi qaldırılana kimi bu heç kimi narahat etməyib. Xəstəxanada qadının səhhəti tezliklə normallaşmağa başlayıb. Müalicə gecikməyəndə neyroleptiklər yaxşı təsir göstərir\", - bu da Kaçayevanın dediklərindəndir. Məcburi müalicəyə göndərilən qadınlar hər altı aydan bir komissiyaya yoxlanışa göndərilirlər. Sonra rayon hakimi belə hallara baxmaq üçün xəstəxanaya gəlir. Kaçayeva qeyd edir ki, \"Hətta ən ağır hal üçün də altı aylıq müalicə kifayət edir, xüsusilə də gənc və daha əvvəl müalicə almamış qadınlara. Belələri göz görə-görə yaxşılaşırlar, əməllərindən peşman olub \"Aman allah, doktor, mən neyləmişəm, indi necə yaşayacam\", deyirlər\". Həkimlər və hakim icazə versə, qadın evinə qayıda bilir. Qanunun tələbinə görə, o, psixonevroloji dispanserdə qeydiyyata düşməli və ambulator müalicə almalıdır. Dərmanlar pulsuzdur. Psixiatr deyir ki, müalicə müsbət nəticə verərsə, iki il sonra qadını qeydiyyatdan çıxarırlar. \"Uşağı özü arzulamışdı, onu çox sevirdi\" Övlad qatili olan anaların təxminən 15 faizində həkimlər aşkar görünən psixi pozuntu tapmırlar. Belə hallarda mütəxəssislər \"psixi travmalı həyat şəraitinin yaratdığı emosional gərginlik\" diaqnozu qoyurlar. \"Ekspertizalar zamanı bəzən bir insanın həyatında bütün problemlərin eyni vaxta təsadüf etməsinə təəccüblənirsən - həm hamiləlik zamanı yoluxduğu qrip fəsad törədir, həm anası rəhmətə gedir, həm doğuşdan əvvəl əri atıb gedir, həm işini itirir, həm pulunu ödəmədiyi üçün kirayə qaldığı evdən çıxarılır\", - Kaçayeva belə deyir. Bu cür sosial problemlər psixi müvazinətin pozulmasına gətirib çıxarır. Bunun üzərinə üçüncü əlamət - \"qıcıq faktoru\" (trigger-faktor) da əlavə olunanda cinayət baş verir. Kaçayeva bildirir ki, \"Qadınlar üçün trigger, adətən, partnyorla münasibətdən yaranan şəxsi situasiyadır. Təhqir, alçaldılma, tərk edilmə, xəyanət. Ümumiyyətlə, qadınlar partnyorlarıyla bu cür münasibətlərə çox ağrılı yanaşırlar\". 2018-ci ilin qışında Çelyabinsk yaxınlığındakı Çebarkulya şəhərində quş fabrikinin briqadiri Yelizaveta Jarovanın məhkəməsi olub. 30 yaşı və 3 uşağı olan bu qadın 2017-ci ilin yazında dördüncü uşağa hamilə qalıb. Vəkilinin sözlərinə görə, daha bir uşaq böyütməyə maddi imkanı olmadığı üçünYelizaveta onu abort etdirmək istəyib, amma vaxtını ötürüb. Payızda kənddəki evində doğduğu körpəni çuxura atıb. Uşaq boğulub. Jarovanın əməlini polisə qonşusu xəbər verib. Zərərçəkən tərəf kimi Yelizavetanın əri müəyyən edilib. Amma o, məhkəmədə arvadını bağışladığını deyib və cinayət işinin xətm olunmasını xahiş edib. Məhkəmə ərin vəsatətini təmin edib. Yelizavetanı məhkəmə zalından azadlığa buraxıblar. Vilayətdə ajiotaj yaranıb: yerli KİV qatil qadına 15 il həbs cəzası verilməsini tələb edib, qonşular \"Torpaq beləsini üstündə necə saxlayır\" deyə qəzəbləniblər. Jarovanın vəkili deyir ki, həmin prosesdə çox yorulub: \"Jarova özü də hiyləgər, rasional və qəliz adamdır. Onlar hadisə haqda danışmaq üçün hətta NTV-nin bir şou-proqramına da qatılmışdılar\". Yelizaveta və ailəsi Tomsk vilayətinə köçüblər. Onun \"VKontakte\" şəbəkəsindəki səhifəsində oğlanlarının şəkilləri var: birində onlar təpəcikdən sürüşürlər, birində böyük oğlu parta arxasındadır, birində ailəlikcə masa ətrafına toplaşıblar. İndi onlar dərs ilinin sonuyla bağlı mahnılar öyrənirlər, birlikdə piknikə gedirlər. Jarova məhkəmə prosesini xatırlamaq istəmir. \"Mən bu haqda heç düşünmək belə istəmirəm. Artıq bir il keçib, o məsələni yenidən qurdalamaq mənə lazım deyil\", - Yelizaveta BBC-yə belə deyib. Yeni doğulmuş körpələrə qəsd edən anaların cəzasını yüngülləşdirmək cəhdləri ABŞ-da da var. Aktivistlər belə qadınlara ikinci şans ideyasının lobbiçiliyini edirlər. Amma hələ ki, həm Rusiyada, həm də ABŞ-da bu şans işə hansı hakimin baxacağından asılıdır. Həmin qış Yelizavetagildən maşınla bir günlük məsafədə yaşayan 36 yaşlı Anastasiya Kroxinanın da məhkəməsi olub. İki azyaşlı oğul anası olan Kroxina 2017-ci ilin yayında daha bir oğlan doğub. Ailə varlı olmasa da, \"yaxşı və səliqəli\", uşaqlar isə \"həmişə təmiz\" olublar. Tanışları Anastasiyanın içmədiyini və narkotik istifadəçisi olmadığını deyirlər. Onların sözlərinə görə, körpənin atası Nastyaya kömək edib, amma başqasıyla evli olub. Bu durum qadına əzab verirmiş. Doğuşdan dörd ay sonra qrip qızdırmasının əldən saldığı Kroxina heç cür sakitləşdirə bilmədiyi uşağı qucağından yerə atıb. Körpə ağlamağa davam edib. Tanışların dediyinə görə, o gün həm onun, həm də ananın 40 dərəcəyə çatan qızdırması olub. Hava işıqlananda Anastasiya uşağına yemək hazırlayıb, onu yedizdirib. Körpə yenə ağlamağa başlayıb, anası sakitləşdirmək üçün əlini onun alnına qoyub. Uşaq, nəhayət, yuxuya gedib. Kəllə sümükləri sınmış olduğu üçün onun başı tədricən şişməyə başlayıb, ayağının qırıldığı bilinməyib. Kroxina günortaya yaxın narahat olmağa başlayıb - uşaq həmişəkindən çox yatdığına görə. Qonşuya qaçıb, özü \"Təcili yardım\" çağırıb. Həkimlər körpənin öldüyünü konstatasiya ediblər. Kroxinanı qətldə yox, ehtiyatsızlıq üzündən ölümlə nəticələnmiş sağlamlığa bilərək zərər vurmada günahlandırıblar. Ekspertiza onun əqli cəhətdən sağlam olması haqda rəy verib. İki günlük məhkəmə istintaqından sonra hakim Kroxinaya şans yox, yeddi il həbs cəzası verib. Hazırda Anastasiyanın uşaqlarına təqaüdçü nənələri baxır. \"Ailəmiz üçün bu, böyük faciə oldu. Anastasiya özü istəyərək doğmuşdu körpəni, o gombul, sevimli uşaqdan ötrü ürəyi gedirdi. Məhkəmə iclaslarında durmadan ağladı, qərardan apellyasiya şikayəti də vermədi\", - işlə tanış olan hüquqşünaslardan biri belə deyir. Onun sözlərinə görə, belə işlərdə nadir hallarda psixoloji-psixiatrik ekspertiza aparılır. Adətən, ambulator müayinəylə kifayətlənirlər: \"Klinikaya gəlirlər və bəzən heç 5 dəqiqə keçməımiş çıxıb gedirlər. Nastyanın təkrar ekspertizasıyla bağlı bütün vəsatətləri \"Biri də bəsdir\" arqumentiylə rədd etdilər. Çox sayda yüngülləşdirici halın olmasına baxmayaraq sonda belə böyük cəzalar verilir\". Sosial şəbəkələrdə Kroxinanın səkkiz aylıq hamiləlik vaxtı çəkdirdiyi ağ donlu şəkli, uşaq pəncələrinin masaj sxemi və bir toyuq yeməyinin resepti qalıb. Bir də \"Uşaqlar\" cəmiyyətinin sitatı: \"Mənim həyatımda balaca bir adam var, onun üçün yaşamaq istəyirəm. Həmin adam mənim uşağımdır. Bu xoşbəxtlikdir!\" \"Yelena uşaqları üçün çox narahat olurdu\" Semyonov şəhərindəki (Nijni-Novqorod vilayəti) köhnə tərəvəz anbarı yanmasaydı, müstəntiqlər Yelena Kərimovanı tapmayacaqdılar. Yanğınsöndürənlər orda rulona bükülü yanmış cəsədlər aşkar edirlər - iki yaşlı oğlanın və dörd yaşlı qızın cəsədlərini. Ekspertiza uşaqların əvvəl boğulub sonra yandırıldığını müəyyən edir. Övladları Süleyman və Xədicəni öldürmək ittihamıyla 27 aprel 2018-ci il tarixdə müstəntiqlər Kərimovanı saxlayırlar. Baxımlı, gözəgəlimli qadın olan Kərimova internet-mağazada idman qidaları satırmış. \"İnstaqram\" səhifəsindən məlum olur ki, o, rəfiqələriylə kafeyə getməyi və uşaqlarının şəkillərini paylaşmağı xoşlayıb. \"Onları təmiz saxlayırdı, ikisini də çox sevirdi. Həmişə qaçıb yanıma məsləhətə gəlirdi - oğlu suçiçəyi çıxaranda, qızı soyuqlayanda. Onlar üçün çox narahat olurdu\", - baldızı Əzizə Kərimova belə deyir. Həbsindən bir az əvvəl Yelena həm qızına, həm də oğluna böyük ölçülü paltarlar alıb. \"Övladlarına sonrakı illər üçün paltar alan biri yəqin ki, onları öldürməyi planlaşdırmazdı. Onları ac, ayaqyalın saxlasaydı, bəlkə də inanardım. Amma uşaqlar təmiz və baxımlıydılar\", - Kərimovanın keçmiş vəkili Dmitri Şirokov çaşqınlıq içində belə deyir. Müstəntiqlər Yelenanı icarəyə götürdüyü \"Kia Ceed\" avtomobilindəki izləyicinin köməyilə tapıblar. Rusiya İstintaq Komitəsinin Nijni-Novqorod şöbəsinin böyük müstəntiqi Maksim Yefimovun sözlərinə görə, izləyicinin göstəricilərinə görə avtomobilin hərəkət trayektorası müəyyənləşdirilib, çəkilişin yanacaqdoldurma məntəqəsinə aid hissəsindən görünüb ki, orda Kərimova şokolad və yandırıcı maddə alıb. Tezliklə şahidlər də tapılıb - ovçular meşənin yanında maşın, tonqal və qadın görüblər. Onlara elə gəlib ki, qadın tonqala oyuncaqlar atır, ona görə də Yelenanı cadugər hesab ediblər. Kərimova birinci sorğusunda danışıb ki, əvvəlcə qızını boğub - dizində, arxası özünə tərəf oturdub ağzını və burnunu tutaraq. Sonra oğlunu. Qızı \"Bəsdir! Bəsdir!\" deyə qışqırırmış. Oğlunun səsi çıxmayıb. Həmin o ovçulara görə Yelena cəsədləri dərhal yox edə bilməyib, qalıqlarını müşəmbə çantaya yığıb evə qayıdıb. Həmin gün rəfiqələrinə, xaç anasına zəng vurub, səhər yenidən tonqal qalamağa gedib. Cəsədləri yandıranda ona elə gəlib ki, onlar \"tərpənib ayağa qalxırlar\" - iş materillarında belə qeyd olunub. Sonra Kərimova ifadəsini dəyişib, deyib ki, uşaqlarını ərinin düşmənlərindən qorxduğu üçün boğub. Guya həmin adamlar maşına oturub buna onu məcbur ediblər. Amma Kərimovanın dediyi marşrut izləyicidə olmayıb, üstəlik, Yelenanın bütün yol boyu maşında tək olduğu görünüb. Yelenanın təsvir etdiyi şəxsləri isə müstəntiqlər tapa bilməyiblər. Kroxinanın hadisəsində olduğu ki, Kərimovanı da ambulator ekspertizadan keçirib psixi sağlam olması qənaətinə gəliblər və 19 il cəza kəsiblər. RİK-in Nijni-Novqorod şöbəsinin ağır cinayətlər bölməsinin rəhbəri Andrey Kirillov ekspertizanın nəticələriylə tanış olanda təəccüblənib. \"Özünü bilən-tanıyan uşaqların anasının maniakal bir israrla öz məqsədinə doğru gedəcək qədər soyuqqanlı olmasına inanmaq şətindir\", - Kirillov BBC-yə açıqlamasında belə deyib. Müstəntiqlər təkrar ekspertiza tələb etməyiblər. Elə birinci vəkil də. İşə sonuncu instansiyada - Rusiya Ali Məhkəməsində baxılanda yeni müdafiəçi bu tələblə çıxış edib. Amma məhkəmə tələbi rədd edərək qərarı qüvvədə saxlayıb. Belə proseslərin bütün iştirakçıları təkrar ekspertizanın vacib olduğunu bildirirlər. Kaçayeva may ayında Serski adına mərkəzdə baş tutmuş belə bir ekspertiza haqqında danışır: səkkiz aylıq oğlunu öldürmüş qadını onların mərkəzinə Saratovda və Volqoqradda baş tutmuş iki yoxlanışdan sonra gətiriblərmiş. Birinci komissiya qadına xəstə, ikincisi sağlam diaqnozu qoyubmuş. Mərkəzdəki ekspertiza onun xəstə olduğunu təsdiqləyib. \"O qadınlar uşaqlıqda zorakılıqla üzləşiblər\" İstintaq zaman Kərimova deyib ki, uşaqları özünə yük hesab etdiyi üçün onlardan xilas olmaq qərarına gəlib. Müstəntiqlərlə birlikdə onu psixoloji elmlər doktoru, bədən dili mütəxəssisi Yekaterina Vaske də danışdırb. \"Sinizmin səviyyəsinə mat qaldım. Kərimova hadisənin bütün detallarını çox dəhşətli ifadələrlə təsvir etdi. Hansı uşağını birinci öldürüb, oğlunu və qızını tonqalda necə yandırıb, hansı uşağının hansı hissəsi daha tez yanıb - birinin kiprikləri, o birinin dodaqları...\" - Vaske belə deyir. \"O özü haqqında çox danışırdı. Gah öz \"orijinallığını\" nümayiş etdirirdi, gah \"parlaq\" həyatından danışırdı, gah da özünə qarşı mərhəmət oyatmaq istəyirdi. Məsələn, deyirdi ki, altı yaşında atası tərəfindən cinsi zorakılığa məruz qalıb\". Ambulator ekspertiza zamanı Kərimovaya anasının ifadəsini oxuyublar: \"Qızımın altı yaşı olanda atasının onu zorlaması haqqında heç nə bilmirəm. Amma ərimin belə bir iş tuta bləcəyinə heç bir şübhəm yoxdur. O, belə şeylərə meylli adamıydı. Hadisədən qızımın mənə yazdığı məktub vasitəsilə xəbər tutmuşdum\". Rusiya məhkəmə psixiatrlarının araşdırmalarında qeyd edilir ki, qatil anaların 80 faizi uğursuz ailələrdə böyüyənlər, 85 faizi isə konfliktli evliliyi olanlardır. Ekspertlər hesab edirlər ki, yalanlar, mübahisələr, dava-dalaş, təhqir, alkoqolizm mühitində böyüyən yeniyetmə qızlar sonradan bunları öz evliliklərinə daşıyırlar. Uşağa qarşı aqressiyanın kökündə valideynlərlə pis münasibətlər dura bilər. Övlad qatilləri çox vaxt bunu hədsiz sevgi nümayişiylə pərdələməyə çalışırlar. Professor Kaçayeva da təsdiq edir ki, ailə zorakılığına məruz qalmaq gələcəkdə baş verəcək cinayətlər baxımından son dərəcə ciddi faktordur: \"Belə qadınların çoxu uşaqlıqda emosional, seksual və fiziki zorakılığa məruz qalanlardır. Həm də seksual zorakılıq onların ən dəhşətlisi olmaya da bilir. Bizə ekspertizaya göndərilən qadınların 90 faizi bu haqda danışmağa hazır olur. Yaxşı vəkillər bundan tez-tez istifadə edirlər\". \"O cür hisslərlə heç kim rastlaşmaq istəmir\" Övlad qatilləriylə çox vaxt nə vəkillər, nə də psixiatrlar işləmək istəyir. 2019-cu ilin qışında 21 yaşlı dərbəndli qadın altı aylıq qızını 31 bıçaq zərbəsiylə öldürmüş, ona uzun müddət vəkil tapmaq mümkün olmamışdı. \"Həmin qadından hətta təyinatlı vəkillər də imtina edirdilər. Ümumiyyətlə, burda onu hamı lənətləyirdi\", - işlə tanış hüquqşünaslardan biri belə deyir. Psixiatrlar danışırlar ki, Serbski adına mərkəzin təcrübəli mütəxəssislərindən biri övlad qatili görən kimi ekspertizada iştirak etməkdən boyun qaçırır, çünki apriori onlara nifrət edir. Amma həmkarları bunu qeyri-professional yanaşma kimi qiymətləndirirlər. Perm vilayətində iki yeni doğulmuş körpəsini öldürmüş qadın həbs olunanda vəkili onun təcridxanaya göndərilməsinə etiraz etməyib, halbuki, bu, vəkillik kodeksinə ziddir. Başqa maddəylə ittiham olunmuş aktrisa Marina Kleşeva deyir ki, həbsxana müdiriyyəti övlad qatillərinin cəza maddələrini gizli saxlayırlar: \"Əlbəttə, mən də belələrinə rast gəlmişəm. Amma yerlilərindən biri onlarla eyni həbsxanaya düşüb sirrlərinin üstünü açmasa, hansı maddəylə cəzalandırıldıqlarını heç kim bilmir. Həbsxanada belələrinin rəfiqəsi olmur, onlar heç bir söhbətə və ya davaya qarışmırlar. Çünki bir söz desələr, onları əzərlər. Mən təəccüblənirdim ki, nə üçün insan öldürməyə görə onlara bu qədər az iş veriblər. Doğuş sonrası sindromlar, depressiyalar haqqında biz heç nə bilmirdik\". \"Nə üçün bizdə uşaq qətllərinə görə cəzalar belə yumşaqdır? Bütün qatilləri ömürlük katorqaya göndərmək lazımdır\". \"Mənə görə uşaq öldürmək cinayətlərin ən ağırıdır. Belələrini dövlət hesabına saxlamaq əvəzinə, edam etmək lazımdır\". \"Qoy, o əclaf türmədə çürüsün\" Bu məqalədəki qadınların həbsiylə bağlı xəbərlərə oxucular bu və daha sərt şərhlərlə reaksiya veriblər. Moskvadan olan klinik psixoloq Yakov Koçetkov deyir ki, belə reaksiyaların səbəbini bilir. O, bunu psixoloji müdafiə adlandırır. Qadınlar özlərinin də bu haqda düşündüklərini inkar edirlər, \"Məni yox, başqasını tutsunlar\" fikriylə öz qəzəblərini başqalarının üzərinə yönəldirlər. \"Axı, sən o qadını başa düşsən və ya ona yazığın gəlsə, onun hiss etdikləriylə üzləşməli olacaqsan. Amma belə hisslərlə heç kim rastlaşmaq istəmir\", - Koçetkov belə deyir. 2015-ci ildə Amerikada aparılmış bir araşdırmanın nəticələrinə görə, anaların 70 faizi körpə kolikaları (çağaların səbəbsiz yerə və gecələr boyu ağlaması) zamanı beyinlərindən aqressiv fikirlər keçdiyini gizlətməyib, 26 faizi isə hətta uşağı öldürmək fikrinin də ağlına gəldiyini deyib. Ən zəif psixi pozuntuları olan qadınlarda bu fikrə sağlam qadınlarda olduğundan iki dəfə çox rast gəlinir. Bu onların hamısının öz övladları üçün təhlükəli olması deməkdirmi? Yox. Psixoloq Koçetqov uşaqlarına zərər vermək - boğmaq, kəsmək və ya pəncərədən atmaq kimi zəhlətökən fikirlərdən əziyyət çəkən qadınlarla işləyir. Onlar bu düşüncələrini nadir hallarda etiraf edirlər, o da ancaq ərlərinə. Belə qadınlar ağlayıb rahatlanmağı və ya uşağın üstünə qışqırmağı mümkünsüz hesab edirlər. Düşünürlər ki, həmişə öz uşaqlarını sevməlidirlər. Psixoloq deyir ki, \"Onlar heç vaxt öz uşaqlarına zərər vurmurlar. Problem bundadır ki, belələri hansısa qadının öz oğlunu və ya qızını öldürməsi barədə xəbərlərə çox həssas yanaşırlar və bunu asanlıqla öz üzərlərinə çəkirlər\". Koçetkov deyir ki, onların diaqnozu obsessiv-kompulsiv pozuntudur (OKP): \"Hazırda bu, xüsusilə çox yayılıb. Bu qadınlar qətl törətmirlər. Uşaqlarını öldürənlər özlərinə nəzarəti itirən analardır. OKP-dən əziyyət çəkənlərdə isə bunun əksi - öz hərəkətlərinə hədsiz nəzarət problemi var. Onlar nəinki hərəkətlərini, hətta fikirlərini də nəzarət altında saxlamağa çalışırlar\". Adətən, belə analar öz əsəb və qəzəblərini çətin ifadə edirlər. Bu qüsur onlarda uşaqlıqdandır - analarının onlara öz qəzəblərini hər hansı şəkildə büruzə verməyi qadağan etdiyi vaxtdan. Belə qadınlar, adətən, sakit və hətta passiv görünürlər. Amma illər uzunu yığılmış aqressiya onları başqalarının heç bir önəm vermədiyi istənilən neqativ fikrə qarşı çox həssaslaşdırır. \"O, sanki mənim həyatımı oğurlayıb\" \"Əvvəllər mən o cür anaları elə qınayırdım ki. Fikirləşirdim ki, bu, heç vaxt mənə aid ola bilməz. Amma oldu...\" - böyük telekommunikasiya şirkətində korporativ müştərilərlə iş üzrə mütəxəssis olaraq çalışmış, 33 yaşlı Tatyana İvanova belə deyir. Satışlar, səyahətlər, dostlar. Bir də uşaq arzusu. \"Mənə elə gəlirdi ki, biz artıq buna hazırıq. Məlum oldu ki, deyilmişik\". Doğuş çətin keçib, mamaçalar çox kobud davranıblar. \"Sonradan doğuşla bağlı retrospeksiv, ağrılı yuxular görməyə başladım. Hər dəfəsində taxikardiyayla aylırdım. Laktostazlar, artıq çəki, dəridə yaralar, saç tökülməsi... Uşağa qarşı aqressiyam tədricən artırdı - sanki o mənim həyatımı oğurlamışdı. Düşünürdüm ki, əzablarımın, xəstəliklərimin günahkarı odur\", - İvanova belə deyir. Uşaq gecələr yatmayanda və ya diş çıxartdığı üçün ağlayanda Tatyana çox əsəbləşirmiş: \"O ağlama səsi beynini partladır, öz uşaqlığının bütün problemlərini yadıma salırdı. Üstəlik, beynimdə hər şeyin öhdəsindən gəlməli olduğumla bağlı oturuşmuş fikir vardı. Amma bəzən körpəni yırğalayanda əsəbdən onu möhkəm silkələyirdim, o da qorxub daha bərk ağlayırdı. Onda mən uşağı var gücümlə çarpayıya atıb \"Kaş ki, sən doğulmayaydın\" və daha sərt sözlərlə üstünə qışqırmağa başlayırdım. Sonra analığımdan zövq almadığım üçün özümü günahkar hiss etməyə, utanmağa başlayırdım\". Tatyananın sözlərinə görə, əri ona uşağın psixikasını pozduğunu deyirmiş, onun şikayətlərini ciddiyə almırmış: \"Sənə nə olub? Özünü topla. Ana deyilsən? Niyə başqaları bacarır, sən yox? Bu uşağı kiminçün doğmusan?\" Bir il sonra Tatyananın vəziyyəti daha da pisləşib, özünü öldürmək barədə fikirləşməyə başlayıb. Elə bu fikirlə də psixoloqa gedib: \"Düşünürdüm ki, mənim kimi əclaf və iyrənc ana yer üzündə yaşamamalıdır, mənim uşağım daha yaxşı anası olmasını haqq edir. Özümü öldürmək bu vicdan əzabıyla yaşamaqdan daha asanıydı. Bir neçə dəfə belə böhran keçirmişdim. Psixoloq dərhal bütün suallarıma cavab verib problemlərin öhdəsindən gəlməyimə kömək etdi\". \"Mələk üzlü körpələrin plakatları yaxşıdır, amma çətinliklərdən danışan da olsun\" Filsidin profilaktikasından danışanda daha çox prezervativin təbliğatından və bebi-bokslardan söz açırlar. Bundan başqa, həm Rusiya, həm də Qərb həkimləri analardakı psixi pozuntulara, o cümlədən, doğuş sonrası depressiyaya nəzarət etməyin vacibliyini vurğulayırlar. \"Əslində, hələ doğuşdan əvvəl bütün mümkün ssenarilər nəzərdən keçirilməlidir. Qadının öz anasıyla münasibətləri, özünə və partnyoruna münasibəti müzakirə olunmalıdır, çünki bütün bunlar qadının doğuşdan sonrakı vəziyyətinə təsir edir. Ana və onun mələk simalı körpəsini əks etdirən plakatlardan başqa, vəziyyətin başqa cür ola biləcəyini də izah edən də olmalıdır\", - psixoloq Marina Bilobram belə deyir. Moskvada və regionlarda kritik situasiyada olan qadınlar üçün mərkəzlər var. Onlara təkcə ailə zorakılığına məruz qalanlar yox, depressiyadan əziyyət çəkən qadınlar da müraciət edə bilərlər. Professor Kaçayeva hazırda həmin mərkəzlərin yarıboş olduğunu deyir: \"Çünki bizim qadınlar onlara müraciət etməyə qorxurlar. Qorxurlar ki, problemlərindən danışsalar, uşaqlarını əllərindən alarlar. Rayon psixiatrına müraciət etməyə də qorxurlar - xəbər verərlər, qeydiyyata salarlar, valideynlik hüququndan məhrum edərlər. Hətta ərlərinə və doğmalarına da deməyə qorxurlar - dəli deyib susdurarlar deyə\". Doğuş sonrası depressiyayla bağlı Edinburq şkalasından istifadə etməklə ananın ruh halını evdə də test etmək olar. Bu şkala üzrə 12 baldan yuxarı nəticə alınarsa, həkimə müraciət vacibdir. 5-11 bal arası nəticədə isə iki-dörd həftədən sonra təkrar test edib ananın vəziyyətinin yaxşılaşdığını və ya pisləşdiyini öyrənmək lazımdır. \"Bircə tez çıxsın məndən, yüngülləşim\" 31 yaşlı Katerina beş abortdan sonrakı hamiləliyini, nəhayət, saxlamaq qərarına gəlir. Əri uşaqlarının olmasını çox istəyirdi, həkimlərsə onun artıq \"yaşlı\" olduğunu deyirdilər. Doğuşa qədər Katerina gecə klublarında promouter işləyirdi - \"çoxlu vəd, pul və zərərli vərdişlər\". \"Mənim ilk və tək övladım məni hər şeydən məhrum etdi. Hamiləlik həyatımın ən pis dönəmi oldu. Belə demək yaxşı deyil, amma ilk aylarda ümid edirdim ki, bəlkə həkimlər hansısa patologiyalar tapacaqlar, ya da vaxtından əvvəl doğuş başlayacaq və hamiləliyim pozulacaq. Amma belə olmadı, uşağın vəziyyəti normalı idi\", - Katerina belə deyir. Doğuşa o bu fikirlə getmişdi: \"Bircə tez çıxsın məndən, yüngülləşim\". Doğuşdan sonra yenə əvvəlki kimi işləmək və səyahət etmək istəyirdi. Amma depressiyaya yaxalandı. \"Düzdü, daha ürəyim bulanmırdı, uşaq da sakitiydi, amma artıq normal həyatım yoxuydu... Pulum azalmışdı. Vaxtın və pulun yoxdu deyə manikürə gedə bilməmək... Bu, dəhşətli bir şeydir. Bütün bunlar mənə əzab verirdi və bir gün vəziyyətim lap pisləşdi\". \"Hamı uşağını pəncərədən atmaq istəyir, mənsə bunu istəmirdim. Amma həmişə onu arabasında gəzdirəndə arabaqarışıq maşının qabağına itələmək istəyirdim. Detallı şəkildə gözümün qabağına gətiridim ki, arabanı necə əlimdən buraxıram və maşın onu necə əzir. Onda uşağa yazığım gəlirdi. Eyni zamanda özümə də yazığım gəlirdi. Arabanı itələyə bilmirdim, amma bu fikir də başımdan getmirdi. Mənə elə gəlir ki, normal qadınların ağlına belə fikir gəlməz\", - bu qənaətini Katerina sonda ağzından qaçırır. Ryazanova psixoloqa müraciət etməyib, ona görə də bilmir ki, qadın öz düşüncələrinin təhlükəli olduğunu anladığı müddətcə psixoloqlar onların olmasını normal hesab edirlər. \"Anama deyirdim ki, mən uşağı az istəyirəm. Ancaq o məni dinləmirdi. Ərimə də deyirdim. Cavab verirdi ki, sən anormalsan. Deyirdi ki, öz uşağını necə sevməmək olar? Özü oğlumuzla çox məşğul olurdu, onu çox sevirdi. Mən uşaq arabasıyla bağlı zəhlətökən fikirlərimi ərimə deyəndə o mənə ikinci uşağı doğmağı təklif etdi - qardaşlar birlikdə darıxmazlar deyə\". Amma Katerina növbəti dəfə hamilə qalanda gizlicə aborta gedir və bunu ərinə ancaq əməliyyatdan gələndən sonra deyir. Depressiyadan qurtulmaq üçün Ryazanova \"Facebook\"da çətin situasiyalı analara dəstək qrupu tapır: \"Tək olmadığımı bilmək məni yüngülləşdirir. Sevinirəm ki, bütün bunlar haqqında açıq danışmaqdan utanmayan qadınlar var. Doğuşdan sonra yalnız poni və göy qurşağı şəkilləri paylaşmırlar\". Katerina hesab edir ki, ana kimi yaşamağı artıq öyrənib. Doğuşdan sonrakı səkkizinci ayda uşaqdan xilas olmaq fikri yox olub. 2019-cu ilə bir gün qalmış Katerinanın əri gecə yatıb, səhər oyanmayıb - yuxuda ürəyi dayanıb. Onun valideynləri Ryazanovanı və uşağını mənzildən çıxarıblar. İki yaşlı oğluyla birlikdə o, anasıgilə köçmək məcburiyyətində qalıb. Hazırda ana-bala Katerinanın valideynlərinin hesabına yaşayırlar. \"İşə düzəlmək istəyirəm, amma uşağı yanına qoymağa adam yoxdur. Heç kim ona baxmaq istəmir, hətta anam da. Çünki indi bostanda işin çox olan vaxtıdır\". Biz Katerinayla aprel ayından ünsiyyətdəyik. Bu müddət ərzində onun vəziyyəti pisləşib. \"Böyük sevgi rastıma çıxmadı. \"İnstaqram\"da olanlardan. Əlbəttə, uşağımı təmin etmək üçün mən əlimdən gələni edirəm. Amma onunla nəfəs almıram. Hərdən beynimə girir ki, uşaq olmasaydı, çoxdan özümə iş tapmışdım, amma indi ilişib kənddə qalmışam. Sonra fikirləşirəm ki, uşağın heç bir günahı yoxdur\". İyun ayında səhər saat 3-də Katerinadan mesaj aldıq: \"Gücüm tükənib. Nədən-kimdən güc alacağımı da bilmirəm. Pulsuzluqdur. Bacım dalaşır, anam kömək etmir. Uşaq çox sevimlidir, amma mən onunla amöb kimiyəm, danışdırmağa da, oynatmağa da ərinirəm. Məni ağrıdan şeylərdən biri də budur. Mən sizə hər şeyin yaxşı olduğunu deyirdim, amma yox, elə deyil\". İllüstrasiyalar: Tatyana Ospennikova"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49429791", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49437003", "doc1": "আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাও পাওলো শহর আগেভাগে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পেছনে দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আর অ্যামাজনে লাগা বুনো আগুনের ধোঁয়া ভূমিকা রেখেছে। ২০১৯ সালের ১৯শে অগাস্ট দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলোয় সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্বাভাস ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিটে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই পুরো শহরটি অন্ধকারে ছেয়ে যায়। এর পেছনে ছিল দুইটি কারণ। একটি হলো দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আর অ্যামাজনে লাগা আগুনের ধোঁয়া। ধারণা করা হয়, সাও পাওলোতে আসা ওই ধোঁয়া উড়ে এসেছে ২৫০০ কিলোমিটার দূরের অ্যামাজনের দাবানল থেকে। ভয়াবহতার প্রকোপ ব্রাজিলের পরিবেশ দপ্তর বলছে, অ্যামাজনের বনে দাবানলের ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অনেক সময় স্থানীয় কৃষকরা বন পুড়িয়ে চাষের জমি বের করার জন্যও বনে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবি গবেষণা করে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পেস রিসার্চ (ইমপে) দেখতে পেয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত অ্যামাজন বনে ৭২,৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আরো পড়ুন: বিপর্যয়ে পড়েছে পৃথিবীর 'ফুসফুস' অবৈধ খননে আমাজনের ক্ষতি মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে যে, ব্রাজিলের রাজ্য রোনডোনিয়া এবং অ্যার্কে এবং প্রতিবেশী বলিভিয়া এবং প্যারাগুয়ের বিশাল আগুন থেকে ধোয়ার উৎপত্তি হওয়ার পর সেটা দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে। এই সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি। দক্ষিণ দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে মিলে এই ধোঁয়া সাও পাওলো শহরের ওপর ভারী ও নিচু মেঘ তৈরি করে। মেঘের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কারণে ধোঁয়া আর বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারে না। আবহাওয়াবিদ মার্সেলো সেলুত্তি বিবিসিকে বলছেন, ''এটা যেন একটি প্যানের ভেতর ফুটতে থাকা উত্তপ্ত পানি আর তার ওপর একটি ঢাকনা বসিয়ে দেয়া। ফলে সরে যাওয়ার পরিবর্তে ধোঁয়া নিচু বায়ুমণ্ডলে আটকে পড়ে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উঁচু।'' আরেকজন আবহাওয়াবিদ জোসেলিয়া পেগোরিম বলছেন, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে যে, ব্রাজিলের রাজ্য রোনডোনিয়া এবং অ্যার্কে এবং প্রতিবেশী বলিভিয়া এবং প্যারাগুয়ের বিশাল আগুন থেকে ধোঁয়ার উৎপত্তি হওয়ার পর সেটা দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে আজ, শিবিরে আতঙ্ক ভিক্টোরিয়া যুগে ভারত কাঁপানো এক ‘সেক্স স্ক্যান্ডাল’ ভারতে কংগ্রেসের সাবেক মন্ত্রী চিদাম্বারম গ্রেফতার বখাটেপনার সঙ্গে চুলের ছাঁটের কী সম্পর্ক? সাও পাওলো শহরে সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্বাভাস ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিটে। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই পুরো শহরটি অন্ধকারে ছেয়ে যায়। ''গত সপ্তাহের শেষের দিকে, বিশেষ করে শুক্রবারে, আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছি যে, ধোঁয়া দক্ষিণ দিকে ভেসে আসছে।'' সাও পাওলোর এই অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে, যখন ব্রাজিলের সরকার অ্যামাজন বন উজাড় হয়ে যাওয়া ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইমপের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে যে, ২০১৮ সালে সবমিলিয়ে ৭৫০০ কিলোমিটার বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের আপাত পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, অ্যামাজন বনাঞ্চল উজাড় হওয়ার এই হার প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর তিনগুণ হয়ে গেছে। বোলসোনারো ক্ষমতায় আসার পর ব্রাজিলে অ্যামাজন বনভূমি উজাড় হওয়ার হার অনেক বেড়ে গেছে শুধুমাত্র গত মাসেই ২২০০ কিলোমিটার বনাঞ্চল খালি করা হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ২৮০ শতাংশ হারে বেশি। প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো প্রকাশ্যে এসব তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এজেন্সির পরিচালক রিকার্ডো গ্যালভাওকে গত মাসে বরখাস্ত করে বিতর্ক আরো চাঙ্গা করে দিয়েছেন। ''আমার মনে হচ্ছে, এসব সংখ্যা বিশেষ উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে। যা মনে হচ্ছে সরকার এবং ব্রাজিলের ওপর আঘাত করার জন্য,'' পহেলা অগাস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তিনি বারবার গণমাধ্যমে দাবি করেছেন যে, ''অ্যামাজন আমাদের।'' আন্তর্জাতিক লড়াই গত কয়েকদিন ধরে জার্মানি এবং নরওয়ের সরকার ব্রাজিলের আমাজন ফান্ডে অর্থ অনুদান বন্ধ করে রেখেছে, যা অ্যামাজনের বনভূমি উজাড় হওয়া ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহায়তার অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া হতো। নরওয়ে ছিল এই তহবিলের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, যারা গত এক দশকে একশো বিশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পেস রিসার্চ (ইমপে) দেখতে পেয়েছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত অ্যামাজন বনে ৭২ ৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ''তারা যেভাবে ভালো মনে করবে, সেভাবেই তাদের অর্থের ব্যবহার করতে পারে, ব্রাজিলের ওসবের দরকার নেই,'' প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছেন মি. বোলসোনারো। অ্যামাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রাজিলে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের জন্য এই বনভূমিটি রক্ষা করা বিশেষ প্রয়োজন, যা বিশাল পরিমাণে কার্বন শোষণ করে থাকে। তবে প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যেই ওই অঞ্চল থেকে সম্পত্তি আহরণের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ একটি বিশেষ এলাকা থেকেও সম্পদ আহরণের পক্ষে - যা দেশটির ১৯৮৮ সালের সংবিধানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এমন আইন করা হবে যেন অ্যামাজনসহ পরিবেশগত সুরক্ষা এলাকাগুলোয় খনি অনুসন্ধান ও কৃষি বিষয়ক কোম্পানিগুলো কাজের সুযোগ পায়। 'বনভূমি উজাড়ের লাইসেন্স' সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে 'ক্যাপ্টেন চেইনস' নামে ডাকছেন পরিবেশ কর্মীরা। কারণ হলো বনভূমি নিয়ে তার অবস্থান এবং ব্রাজিলের প্রধান পরিবেশ সংস্থা ইবামার তহবিল কমিয়ে দেয়া। গ্রিনপিসের মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেছেন, ''এটাকে বলা যেতে পারে কোনরকম শাস্তি ছাড়াই বনভূমি উজাড় করার লাইসেন্স দিয়ে দেয়ার মতো একটি ঘটনা।'' বোলসোনারো আরো সমালোচনার মুখে পড়েছেন, যখন তিনি আদিবাসী এলাকাগুলোর দায়িত্ব বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিরোধী আইন প্রণেতারা এটিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে যে, সরকার যেন শিয়ালকে মুরগি দেখাশোনার দায়িত্ব দিতে চাইছে।", "doc2": "İdarə edilə bilinməyən yanğınlar təkcə Braziliyaya deyil, Boliviya və Paraqvaya da təsir edir. Cənubi Amerikada hər bir dəqiqədə bir futbol stadionu böyüklüyündə meşəliyin itirilməsi ilə nəticələnən yanğınlar təkcə bu qitəyə yox, bütün dünyaya təsir edə biləcək miqyasdadır. 6.7 milyon kvadrat kilometr meşəliyin qarşı-qarşıya olduğu yanğınlar dünyanı beş əsas məsələdə təhdid edir: 1. 40 mindən çox bitki növü Dünya Vəhşi Təbiət Fondunun (WWF) məlumatlarına görə, Amazon regionunda 40 mindən çox bitki növü var. Dünya Bankı \"Amazon dünyanın tropik meşələrinin 40 faizinə, qurudakı biomüxtəlifliyin isə 25 faizinə ev sahibliyi edir\" deyir. Amazon regionunda bitən bir çox bitki növü tibdə dərman istehsalında istifadə olunur. Əldə edilən bitkilərdən xərçəng xəstəliyinin dərmanları da, kosmetik vasitələr də istehsal olunur. 2. 6 mindən çox heyvan növü Amazon regionunda bu günə qədər 427 məməli, 1300 quş, 378 sürünən və 400-dən çox suda-quruda yaşayan heyvan növü kəşf edilib. Bundan başqa, 3 min müxtəlif şirin su hövzələrində yaşayan balıq növü də bu ərazidə yaşayır. \"Vegetarian pirani\" adlandırılan balıq növünə də Amazonda rast gəlinmişdi. Yanğınlar bu canlıların yaşayış yerini və gələcəyini təhdid edir. 3. 400-ə yaxın yerli qəbilə camaatı Yerli xalqların qorunması yönündə fəaliyyət göstərən, mərkəzi Braziliyada olan \"Survival İnternational\" təşkilatı Amazon meşələrində təxminən 1 milyon yerli insanın 400 fərqli qəbilədə yaşadığını bildirir. Bu qəbilələrin hamısının özlərinə məxsus mədəniyyətləri və dilləri var. Bəzi yerli qəbilə kəndləri 500 ildir ki, özlərindən başqaları ilə əlaqə qurur, bəziləri isə hələ də tamamilə izolyasiyada yaşayır. Bu qəbilələrin qida və həyat mənbələri də yaşadıqları Amazon meşəliklərinin zənginlikləridir. Qida, dərman, yaşayış yeri kimi əsas tələbatlarının hamısını meşədən əldə edirlər. 4. Dünyanın \"iqlim balanslaşdırıcısı\" Braziliyanın Elm, Texnologiya və Rabitə Nazirliyi aprel ayında verdiyi açıqlamada Amazon tropik meşələrinin ölkənin cənubundakı yağış sikllərini tarazladığını və çox yüksək miqdarda karbondioksidi əmə bildiyini söyləmişdi. Lakin Amazon regionunun əhəmiyyəti təkcə Braziliya ilə məhdudlaşmır. Tropik meşələrin Cənubi Amerikanın ən böyük \"iqlim balanslaşdırıcısı\" olduğu ifadə edilir. Elmi \"Science Advances\" jurnalında dərc olunan və araşdırmaçılar Thomas Lovejoy və Carlos Nobrenin məqaləsində \"Amazon tropik meşələrindəki rütubət səviyyəsi qış aylarında Rio de la Plata hövzəsinə düşən yağışa təsir edir. Uruqvay, Paraqvan və Argentinadakı yağış səviyyələri Amazonun tropik meşələri ilə birbaşa əlaqəlidir\" deyilir. 5. Dünyanın ən böyük çay hövzəsi Amazon eyni zamanda planetin ən böyük çay hövzəsi mövqeyindədir. 7 milyon kvadrat kilometrlik əraziyə yayılan hövzə Boliviya, Braziliya, Kolumbiya, Ekvador, Peru və Venesuelanın kiçik hissəsini əhatə edir. Bu hövzənin ən böyük hissəsi Braziliya sərhədləri daxilindədir. Argentinanın İnfobae Vəhşi Təbiəti Qoruma Birliyinin sədri Manuel Jaramillo \"Amazon regionu planetimizdəki şirin suyun 17-21 faizini təşkil edir\" deyir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48222937", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39836953", "doc1": "জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য বিচার বিভাগ বলছে, ওই জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য। তবে দেশটির কয়লা রপ্তানির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার কারণে উত্তর কোরিয়ার কোন জাহাজ আটক করলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে এমন সময় যখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বল্প মাত্রার ওই মিসাইল ৪২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল টেস্টের সঙ্গে এই জাহাজ আটক ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই। আরো পড়ুন: পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক সংসদ নির্বাচন: উত্তর কোরিয়া স্টাইল এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া জাহাজটি সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে? 'ওয়াইজ অনেস্ট' নামের ওই জাহাজটিকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় আটক করা হয়। সে বছর জুলাই মাসে সেটি জব্দ করার আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইন্দোনেশিয়া জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। এখন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছে। মার্কিন কৌসুলি জেফরি এস বের্ম্যান বলছেন, ''আমাদের অফিস জানতে পেরেছে যে, জাহাজের নিবন্ধন গোপন করে উত্তর কোরিয়া উন্নত মানের কয়লা বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে।'' ''তারা এর মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞাই লঙ্ঘন করেনি, বরং এই জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় ভারী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বার বার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।'' এই জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মার্কিন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ডলারে দেয়া হতো বলে জানা যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল পরীক্ষার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অনেক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিমান দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার জন্যে কী করছে কর্তৃপক্ষ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাজীব প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন? বাজারে ৫২টি খাদ্যপণ্যেই ভেজাল: বিক্রি চলছে গণপরিবহনে নারীর জন্য বিপদ সংকেতগুলো কী? কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠক শেষ পর্যন্ত বিফল হয় উত্তর কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র কি আবার বন্ধু হতে পারবে? বর্তমান ঘটনা পর্যালোচনায় ধারণা করা হচ্ছে যে, দুই দেশ আবার চরম বৈরি অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেন উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিয়েগান। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ মিসাইল টেস্টের ব্যাপারে কেউই 'খুশী' নয়। প্রথমবারের মতো কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে গত বছর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরে আরো একটি বৈঠক হলেও কোরিয়ান উপসাগরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। গত বছর কোরিয়ান নেতা কিম জং-আন বলেছিলেন, তিনি পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধ করে দিতে পারেন এবং আন্তঃমহাদেশীয় অস্ত্র পরীক্ষা করবেন না, তবে সেসব কর্মসূচী বন্ধ হয়নি।", "doc2": "Məlumata görə, Kim Hak-song Pxenyan Elm və Texnologiya Universitetində işləyirdi Pxenyan Elm və Texnologiya Universitetində (PUST) işləyən Kim Hak-song mayın 6-da saxlanılıb, KCNA dövlət agentliyi xəbər verir. Hazırda daha üç nəfər ABŞ vətəndaşı, o cüməldən PUST-da dərs verən Kim Sang-duck, Şimali Koreyada saxlanılır. Keçmişdə ABŞ deyib ki, Şimali Koreya Amerika vətəndaşlarını həbs edərək girov edir. KCNA agentliyinə əsasən Kim Hak-song-un iddia olunan cinayətləri \"müvafiq orqanlar\" tərəfindən \"ətraflı araşdırılır\". Bundan başqa detallar açıqlanmayıb. PUST-da əsasən Şimali Koreya elitasının uşaqları oxuyur. Bu universitet 2010-cu ildə, koreyalı-amerikalı xristian iş adamı tərəfindən təsis olunub. Onu əsasən ABŞ və Cənubi Koreyada yerləşən xristian xeyriyyə təşkilatları maliyyələşdirir. Deyilənə görə, universitetdə bir sıra xarici müəllim dərs deyir. Daha bir ABŞ vətəndaşı Kim Dong-chul ötən il 10 illik ağır əmək cəzası almışdı Tələbə Otto Warmbier 2016-cı ilin yanvar ayında Şimali Koreyada həbs olunmuşdu"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50086292", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46973070", "doc1": "বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বরিস জনসন (বাঁয়ে) এবং জ্যঁ-ক্লদ ইউংকার। পেছনে দাঁড়ানো মিশেল বার্নিয়ে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দু'জনেই ঘোষণা করেছেন যে এই প্রশ্নে একটি মীমাংসা চুক্তিতে পৌঁছানো গেছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্ট্যাটাস কি হবে, প্রধানত এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মতভেদের কারণে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের প্রায় সাড়ে তিন বছর পরও এই বোঝাপড়া আটকে ছিল। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে এই সমঝোতা হয়। মি. জনসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইউংকার উভয়েই বলেছেন, এই সমঝোতা দু'পক্ষের জন্যেই 'ন্যায্য' হয়েছে। এবং এর পর ব্রেক্সিট সময়সীমা আর বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই বলে মি. ইউংকার মত প্রকাশ করেছেন। যে আপোষরফা প্রধানমন্ত্রী জনসন করেছেন, তাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। তবে সেটা আদৌ ঘটবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বার বার বলেছেন, ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে যে কোনও মূল্যেই তিনি ব্রিটেনকে ইইউ জোট থেকে বের করে আনবেন। ব্রিটেনের এক বিরাট জনগোষ্ঠী ব্রেক্সিটের বিরোধী। সম্পর্কিত খবর: কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এমপিদের সেটা তিনি পারবেন কি না - তা নিয়ে অনেক সন্দেহ থাকলেও মি. জনসন বলছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি একটি বোঝাপড়া চূড়ান্ত করেছেন যার ভেতর দিয়ে, তার ভাষায়, ব্রিটেন তার নিজের ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে ব্রিটেনের সাথে একটি বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে। ইইউ-এর প্রধান মীমাংসাকারী মিশেল বার্নিয়ে বলছেন, \"ব্রিটিশ সরকারের সাথে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছেছি যার মাধ্যমে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সুশৃঙ্খলভাবে বেরিয়ে যেতে পারবে।\" \"ভবিষ্যতে ব্রিটেনের সাথে এই জোটের সম্পর্ক কী হবে, তার একটি কাঠামো নিয়েও বোঝাপড়া হয়েছে।\" ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্ট্যাটাস কী হবে, আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সাথে সীমান্তের চরিত্র কী হবে - প্রধানত এই ইস্যুতেই বছরের পর বছর ঐক্যমত্য হচ্ছিল না। জানা গেছে, বরিস জনসন শেষ পর্যন্ত কিছু আপোষ করেছেন। মিশেল বার্নিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নতুন এই চুক্তির ফলে ব্রেক্সিটের পরও উত্তর আয়ারল্যান্ডে ইইউ'র অনেক নীতিমালা অব্যাহত থাকবে। উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্রিটিশ কাস্টমস এলাকার মধ্যে থাকলেও এটি ইইউ'র অভিন্ন বাজারের প্রবেশ পথ হবে। ওয়েস্টমিনস্টারে উড়ছে ইইউ পতাকা। তবে এটি কতদিন উড়বে তা নিয়ে সন্দেহ এখনও রয়েছে। তবে, একই সাথে ইইউ মেনে নিয়েছে যে এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা নিয়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রাদেশিক পার্লামেন্ট প্রতি চার বছর পরপর ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বৃহস্পতিবার থেকে ইইউ জোটের যে শীর্ষ বৈঠক ব্রাসেলসে শুরু হয়েছে সেখানে এই চুক্তি অনুমোদন হবে। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনি এই চুক্তি পাশ করাতে পারবেন কিনা - তা নিয়ে সন্দেহ এখনও যায়নি। বিশেষ করে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রটেস্টান্ট দল ডিইউপি কোনভাবেই চায়না না যে ব্রেক্সিটের পর তাদের এই অঞ্চলের ওপর ইইউ-এর নীতিমালা অব্যাহত থাকুক। এছাড়া, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশাল সংখ্যক এমপি ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের ঘোর বিরোধী। আরো পড়তে পারেন: বিজিবি-বিএসএফ গোলাগুলি, বিএসএফ সৈন্য 'নিহত' 'বাবার মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠান, আমরা নেব না' ট্রাম্পের চিঠি ‘ডাস্টবিনে ফেলে দিলেন' এরদোয়ান", "doc2": "Paylaşımın sonu YouTube, 1 Video açılmasa, buradan izləyin. Hökumətin İcmalar Palatasında təqdim etdiyi Brexit planı siyasi çəkişmələri bir qədər də kəskinləşdirib. Belə debatlarda qaydanı təmin etmək spikerin vəzifəsidir. John Bercow vəzifəsinin öhdəsindən gəlmək üçün həm də güclü səsindən istifadə edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47301286", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47363213", "doc1": "কাশ্মীরে শুধু গত বছরই সহিংসতায় নিহত হয়েছে ৫০০'র বেশি মানুষ সম্প্রতি পুলাওয়ামা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ অঞ্চলে আবারো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলাওয়ামা জেলায় গত সপ্তাহে হওয়া হামলাটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় বাহিনীর উপর হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ, যেখানে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরণে এবং গোলাগুলিতে প্রায় ৫০ জনের মত নিহত হয়েছে। ভারত অধ্যূষিত কাশ্মীরে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘাতের কারণে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষও মারা গিয়েছে গত বছর: ২০১৮ সালে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বেসামরিক ব্যক্তি এবং জঙ্গীগোষ্ঠীর সদস্যসহ কাশ্মীরে ৫০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেন এত আলোচনা? ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান আর ভারত স্বাধীনতা পাবার আগে থেকেই কাশ্মীর বিতর্কের কেন্দ্রে। কাশ্মীরের অংশবিশেষ ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ চীনের। পুলাওয়ামাতে গত সপ্তাহের সহিংস সংঘাতের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারো যুদ্ধংদেহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠনকে দায়ী করেছে ভারত, যার ধারাবাহিকতায় ভারতের বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভের পাশাপাশি কাশ্মীরি ছাত্র-ছাত্রী এবং ব্যাবসায়ীরা জনরোষেরও শিকার হয়েছেন। ভারত অধ্যূষিত কাশ্মীরে হত সপ্তাহের শেষদিকে মোবাইল ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এই আক্রমণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন যে কোনো ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলেই তা ভিন্ন মাত্রা নেয়। কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই দুই দেশের দ্বন্দ্বের মূল রেশটা পরে কাশ্মীরে বসবাসকারী মানুষের ওপর। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দু'বার আলাদা যুদ্ধ ছাড়াও (১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালে) দুই দেশের সেনাবাহিনী, জঙ্গী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যেসবের কারণে বর্তমানে কাশ্মীরের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক, কর্মসংস্থান সঙ্কট প্রবল এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরমে। কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান, ভারত ও চীন কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ করে কারা? ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ যখন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত ও মুসলিম মংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত হয় এবং ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে - তার আগে থেকেই কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক ছিল। কাশ্মীরের তৎকালীন হিন্দু মহারাজা হরি সিং চাইছিলেন স্বাধীন থাকতে অথবা ভারতের সাথে যোগ দিতে। অন্যদিকে পশ্চিম জম্মু এবং গিলগিট-বালতিস্তানের মুসলিমরা চাইছিলেন পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে। কিন্তু সেসময় কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে এই দ্বন্দ্বের সুরাহা করতে না পারায় পরের দুই বছর কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধ চলে দুই দেশের মধ্যে। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হলে পাকিস্তান কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাশ্মীরের পর্যটন খাত ভারত ও পাকিস্তানের এই দ্বন্দ্বের মধ্যে ১৯৫০'এর দিকে পূর্ব কাশ্মীর - যেই অঞ্চল আকসাই চিন নামে পরিচিত - দখল করতে থাকে চীন। ১৯৬৫ সালে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এরপর ১৯৮০ ও ৯০ এর দশকে কাশ্মীরের ভারত অধ্যূষিত অঞ্চলে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হলে সেখানে জঙ্গী কার্যক্রমের পরিধি বিস্তার করে, গণরোষ তৈরি হয় এবং পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গী বাহিনীর প্রসার শুরু হয়। সেসময় থেকে নানা ধরণের সহিংস ঘটনায় কাশ্মীরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। কাশ্মীরের মানুষ কী চায়? ১৯৫০'এর দশক থেকেব জাতিসংঘ বলে আসছে যে কাশ্মীর ইস্যুতে ঐ এলাকার মানুষের মতকে প্রাধান্য দেয়ার লক্ষ্যে একটি গণভোট আয়োজন করা উচিত। পুলাওয়ামা জেলায় ১৪ই ফেব্রুয়ারি হওয়া হামলাটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় বাহিনীর উপর হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ ভারত এই পরিকল্পনাকে শুরুতে সমর্থন করলেও পরবর্তীতে তারা বলে যে গণভোট আয়োজন প্রয়োজনহীন; কারণ ভারত অধ্যূষিত জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনে সেখানকার মানুষ ভারতের সাথে থাকার পক্ষেই মত দেবে। কিন্তু পাকিস্তান এই দাবি সমর্থন করে না। তাদের বক্তব্য, ভারত অধ্যূষিত কাশ্মীরের অনেক মানুষই ভারতের সাথে থাকতে চায় না; তারা হয় স্বাধীনতা চয়, নয়তো পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয়ার পক্ষপাতী। ভারত অধ্যূষিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যার ৬০ ভাগের বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এটিই ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু।", "doc2": "Kəşmirdə məktəblilər Hindistan hərçilərinin keşik çəkdiyi xətti keçirlər. Hindistanın Pakistanın ərazisində yerləşən hədəflərə hava zərbələri endirməsi gərginliyi xeyli artırıb. Hindistan Ceyşi-Məhəmməd qrupunun iri təlim düşərgəsini bombaladığını bildirib. Bu qrup bu yaxınlarda Kəşmirin Hindistanın idarəçiliyində olan hissəsində keçirilmiş hücuma görə məsuliyyəti üzərinə götürüb. Həmin hücum nəticəsində 40 Hindistan əsgəri öldürülüb. Pakistanın milli təhlükəsizlik komitəsi bildirib ki, İslamabad Hindistanın zərbəsinə cavabı lazım bildiyi vaxtda və yerdə verəcək. Vəziyyətin gərginləşməsi regionda son onillik ərzində ölənlərin sayının ən çox artması fonunda baş verib. Belə ki, 2018-ci ildə mülki əhali, təhlükəsizlik qüvvələri və silahlılar da daxil ölənlərin sayı 500 nəfərə çatıb. Kəşmirdə hazırkı gərginliyin təhlükəsi nədədir? Hindistanla Pakistan arasında sərhəd xəttinin bir sahəsi. Kəşmir Hindistanla Pakistan arasında qaynar nöqtəyə çevrilib: bu ölkələr müstəqillik qazandıqdan sonra Kəşmirin ərazisi Hindistanın və Pakistanın idarəsi altında olan zonalara bölünüb. Kəşmir ərazisinin bir parçası da Çinin nəzarəti altına keçib. Yaxın gələcəkdə Hindistan-Pakistan münasibətlərində mülayimləşmənin baş verəcəyinə ümid yoxdur. Hindistan və Pakistan, hər ikisi nüvə dövlətidir, odur ki, bu iki ölkə arasında yeni qarşıdurma fərqli müstəvidə inkişaf edə bilər. Hindistanla Pakistan arasında indiyədək iki müharibə ( 1947 və 1965-ci illərdə), bir neçə hərbi kampaniya, hərbçilərə və mülkilərə qarşı saysız-hesabsız hücumlar baş verib, qonşu dövlətlərlə də münasibətlər gərginləşib. Nəticədə indi bölgənin iqtisadiyyatı zəif durumdadır, bundan başqa, burada yüksək səviyyəli işsizlik və qeyri-sabit siyasi vəziyyət hökm sürür. Bölgəni kim idarə edir? Kəşmir 1947-ci ildə, Britaniya idarəçiliyi bitənə qədər artıq mübahisə obyektinə çevrilmişdi - subkontinent hindlilərin yaşadığı Hindistana və müsəlmanların çoxluq təşkil etdiyi Pakistana bölündü. Kəşmirin hökmdarı Hindistan və ya Pakistana birləşmək məsələsində bir qərara gələ bilmirdi, nəhayət, son nəticədə o, Hindistanı seçdi və bununla da iki ölkə arasında bu ərazi uğrunda ikiillik müharibə başladı. Onilliklərlə çəkən münaqişə Kəşmirdə turizmə mənfi təsir göstərib Atəşkəs elan olunandan sonra Pakistan öz qoşunlarını Kəşmirdən çıxarmaqdan imtina etdi və Kəşmir iki hissəyə parçalandı. Hindistanla Pakistan arasında münasibətlər gərginləşərkən, Çin tədricən Kəşmirin şərqində Aksay Çin kimi tanınan ərazini 1950-ci illərdə işğal etdi. 1965-ci ilin ikinci Hindistan-Pakistan müharibəsindən sonra, 1980-1990-cı illərdə, Hindistanın idarəçiliyinə etiraz silahlı müqavimətə, kütləvi etirazlara və Pakistanın dəstəklədiyi silahlılardan ibarət dəstələrin fəallaşmasına gətirib çıxardı. 1999-cu ildə Hindistanla Pakistanın dəstəklədiyi qüvvələr arasında qısamüddətli, lakin şiddətli münaqişə baş verdi. Döyüşlər on minlərlə adamın ölümünə səbəb oldu. Kəşmirdə camaat nə istəyir? Fevralın 14-də silahlıların həyata keçirdiyi hücum son onilliklərin ən qanlı hadisəsi olub. 1950-ci illərdən bəri BMT bildirib ki, Kəşmirdə referendum keçirilməlidir. Hindistan ilk olaraq bu təklifi dəstəkləsə də, sonradan fikrini dəyişərək deyib ki, Hindistanın idarə etdiyi Cammu və Kəşmirdə keçirilən seçkilərdə bölgənin Hindistana birləşməsi dəstəkləndiyindən referendumun keçirilməsinə ehtiyac yoxdur. Lakin Pakistan bununla razılaşmayaraq bildirir ki, bölgədəki əhali Hindistan tərəfindən idarə olunmaq əvəzinə müstəqil və ya Pakistanla ittifaqda olmaq istəyir. Hindistanın idarəçiliyində olan Cammu və Kəşmirdə əhalinin 60 faizi müsəlmandır və bu, Hindistanda müsəlmanların çoxluq təşkil etdiyi yeganə ştatdır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50207081", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40301629", "doc1": "ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি কিন্তু এরপর সিরিয়ায় আইএসের ভবিষ্যত কী? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রোগ্রামের পরিচালক লীনা খাতিব আলোকপাত করেছেন তার ওপর। তিনি বলছেন, আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইএসের অস্তিত্ব ধ্বংস বা সম্পূর্ণ পতন নিশ্চিত হবে না। বরং কাছাকাছি সময়ে সিরিয়ার স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে আইএসের এখনকার ভবিষ্যত, তাতে দলটির নেতা থাকুক আর না থাকুক। আইএসের জন্য বাগদাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা ছিলেন, বিশেষ করে দলটি যখন একটি তথাকথিত রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছিল। বাগদাদিকে হত্যার জন্য চালানো অভিযানের পর সেখানকার পরিস্থিতি যেহেতু খলিফা ছাড়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সে কারণে আইএস বাগদাদিকে জনসম্মুখে একজন শক্তিমান নেতা হিসেবে হাজির করেছিল। যে কারণে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের পতনের পরেও এই গ্রুপের সমর্থকদের বিশ্বাস ছিল একদিন বাগদাদি আবার খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। সাংবাদিক এবং দাতা সংস্থার কর্মী, যারা সিরিয়ার ভেতরে আল-হোল ক্যাম্পে আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রী ও বিধবাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিভিন্ন সময়, তারা জানিয়েছেন, বাগদাদির যেকোন বক্তৃতা তার সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করতো। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্ক অভিযান চালানোর পর, আইএসের সামরিক শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিল, কিন্তু তারা তৎপর ছিল। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় আইএসের স্লিপার সেল বা গোপনে কাজ করে এমন ছোট ছোট দল সুযোগ পেলেই হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর। হোমসের কাছে পালমিরার উত্তরে সোখানা মরুভূমিতে আইএস সিরিয় এবং রুশ স্থাপনার ওপর আলাদাভাবে হামলা চালিয়েছে। কেবল আইএসের নামে নয়, বহু সাবেক আইএস যোদ্ধা উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় স্থানীয় একটি জিহাদি দলে যোগ দিয়েছেন। ইদলিবে আইএস ঘনিষ্ঠ ঐ দলটির নাম হুরাস আল-দ্বীন, এটি আল-কায়েদার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত একটি দল। এই দলটির সীমিত আকারে সামরিক শক্তি থাকলেও স্থানীয়দের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা কম। সিরিয়ায় আইএসের মূল কর্মকাণ্ড উত্তর-পূর্বে দেইর আল-যোওর এলাকায়, বিশেষ করে বসাইরার দক্ষিণে দিবানের দিকে। এ এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে সিরিয় ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এসডিএফ, কিন্তু এলাকাটি কুর্দি অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই সংকটে রয়েছে এসডিএফ। সেখানকার বাসিন্দাদের বড় অংশটি বিভিন্ন আরব গোত্রের, যারা কেবল এসডিএফকেই নয়, বরং ঐ এলাকায় সক্রিয় সিরিয় সামরিক বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীকেও প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আল বাগদাদিকে হত্যার ঘোষণা দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার সরকার এবং ইরানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এই গোত্রগুলো বিক্ষোভ করেছে। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানের আগে, দেইর আল-যোওরে সেখানকার আরব গোত্রসমূহ এবং এসডিএফের মধ্যে নিয়মিত বিবাদ সংঘর্ষ হতো। পরে সেখানে আইএসের তৎপরতা ক্রমে বাড়ে। কয়েক মাস আগে এসডিএফের এক চেকপয়েন্ট থেকে একজন আরব পথচারীকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপরের দুই সপ্তাহে দেইর আল-যোওরে স্লিপার সেলের হামলার সংখ্যা বেড়ে যায়। তুরস্ক অভিযান চালানোর পর, ঐ এলাকায় এসডিএফ যেহেতু সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়, তাদের অনুপস্থিতির এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করে আইএস। সেখানে নিজেদের কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দেয় তারা, যদিও নতুন করে ভূমি দখলের চেষ্টা এবার তারা করেনি। এ সময় দলটি আইইডিএসের ব্যবহার করে, যা তেকে বোঝা যায় তাদের সামরিক সক্ষমতা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসন জানায়, দেইর আল-যোওরে আইএস বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট সেখানকার তেলক্ষেত্রগুলো রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, সেটাও আইএসের কলেবর না বাড়াতে পারার আরেকটি বড় কারণ। এখন কী করতে পারে দলটি? এখন বাগদাদির মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে আইএস তার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনার প্রতিশোধের বার্তা দেবে। কিন্তু শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দলটির যোদ্ধারা যুদ্ধ করে যাবে, এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এখনে আর তাদের মধ্যে নাও দেখা যেতে পারে। মৃত্যুর আগে সিরিয়ায় দলটির নেতা আবু আয়মান আল-ইরাকি মাত্র ছয়জন যোদ্ধাকে নিয়ে এসডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই এ নেমেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে সব কয়জন যোদ্ধা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। আইএসের স্বর্ণ সময়ে এমন পরিস্থিতির কথা কেউ কল্পনাও করতে পারতো না। নতুন নেতা আসবে আইএসে? আইএস হয়তো শীঘ্রই বাগদাদির একজন উত্তরসূরি এবং একজন শীর্ষ নেতা চূড়ান্ত করবে। তবে দলটির কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পরিস্থিতি কেমন থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, বাগদাদি ইদলিবে আছে, সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, কারণ তিনি সেখানে আইএসকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। এদিকে ইদলিবের জিহাদি দল হুরাস আল-দ্বীন আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্যের কারণে হায়াত তাহরির আল-শাম নামে আরেকটি ইসলামি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু এই দলটি কিংবা আইএস কেউই সেখানে ততটা জনপ্রিয় না হওয়ায়, এই প্রদেশে আইএস তাদের ঘাঁটি গড়ে তুলবে এমন সম্ভাবনা কম। এছাড়া উত্তর-পূর্বে সিরিয়ার সেনাবাহিনী নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, যদিও তাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত। তাদের সৈন্য সংখ্যা আর সামরিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি যেমন আছে, তেমনি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ছোট কয়েকটি দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছে তারা। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ এখনো কুর্দি যোদ্ধাদের হাতে। একমাত্র আইএস বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট দেইর আল-যোওর ত্যাগ করলেই, আইএস ঐ এলাকা টার্গেট করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা এসডিএফকে প্রত্যাখ্যানকারী আরব গোত্রসমূহের সহায়তা পাবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই জোট সেখানকার তেলক্ষেত্রগুলো ছেড়ে শীঘ্র নড়ছে না। কিন্তু মনে রাখা দরকার, বাগদাদির মৃত্যুকে যদি একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবেও দেখা হয়, তবু সেখানকার স্থানীয় দলগুলোর কোন্দল ও অন্তর্দ্বন্দ্ব আইএসের কাজ করার সুযোগ বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। আরো পড়তে পারেন: সাকিব বনাম বিসিবি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা 'সেলফি থেকে জানলাম আমিই চুরি হওয়া শিশু' সৌদি আরব থেকে শ্রমিক ফেরত, চিন্তিত দূতাবাস", "doc2": "Əbu Bəkr Əl-Bağdadi 2014-cü ildə cümə namazı vaxtı. 28 mayda baş verən həmlə əl-Bağdadi və daha 330 döyüşçünün ölümü ilə nəticələnə bilərdi, Rusiyanın Müdafiə Nazirliyi bildirir. Məlumata əsasən zərbə ilə Raqqa şəhərində cihadçıların hərbi şurasının toplantısı hədəflənib. Bağdadinin ölümü barədə xəbər bundan əvvəl də bir neçə dəfə yayılmışdı. Suriya hökuməti bu məlumatı şərh etməyib. Rusiya hava qüvvələri gecəyarıdan bir az keçmiş hava hücumu həyata keçirib. Bu barədə ABŞ hərbiyyəsi öncədən məlumatlandırılıb. Dronla həyata keçirilən müşahidənin ardınca Su-35 və Su-34 təyyarələri istifadə olunub. Rusiyanın Müdafiə Nazirliyi hədəflənən ərazinin şəkillərini yayıb. Məlumata əsasən hücumda həmçinin Raqqa \"şəhərinin əmiri\" Əbu əl-Hacı əl-Məsri qətlə yetirilib. Rusiya hücumdan əvvəl və sonra çəkilən fotoşəkilləri nümayiş etdirib. İD rəhbərinin yeri barədə bir müddətdir ki, məlumat yoxdur. Hərçənd ki, onun, 2016-cı ildə Mosulun alınması uğrunda əməliyyatın başlanmasından əvvəl bu şəhərdə olduğu güman edilir. Reuters-in xəbərində ehtimal olunur ki, son zamanlar \"o, ərazisi minlərlə kvadrat kilometr təşkil edən səhralıqda gizlənib\". Əbu Bəkr əl-Bağdadinin əks olunduğu yeganə video 2014-cü ildə, İD-nin \"xilafət\" elan etməsindən sonra yayılıb. İD gedti - dostlar görüşdü... Görüntüdə İD lideri Mosul şəhərinin ələ keçirilməsindən sonra cümə namazına qatılır. Əl-Bağdadinin ilk audio mesajı 2012-ci ildə yayınlanmışdı və həmin çıxışında o, İD-ə böyük qələbələr vəd edirdi. İraqın Daxili İşlər Nazirliyi 2014-cü ildə çəkilmiş görüntünü yayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50996886", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-50983013", "doc1": "কাসেম সোলেইমানি শনিবার তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে এক শোক মিছিল বের করে এবং \"আমেরিকার মৃত্যু চাই\" বলে শ্লোগান দিতে থাকে। কুদস বাহিনীর প্রধান হিসেবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের কৌশলগত অপারেশনের নেতৃত্ব দিতেন কাসেম সোলেইমানি। তাকে হত্যা করায় আমেরিকার বিরুদ্ধে 'বড় ধরনের প্রতিশোধ' নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। তবে কীভাবে বা কোথায় এ প্রতিশোধ নেয়া হবে, ইরান কি পাল্টা সামরিক হামলা চালাবে, নাকি সাইবার আক্রমণ হবে - তা নিয়ে সারা বিশ্বের সামরিক-কৌশল বিশেষজ্ঞরা নানা রকম বিশ্লেষণ দিচ্ছেন। জেনারেল সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ মারান্দি জানান, এই অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্য ধরে রাখার পরিকল্পনা পরাজিত করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, \"আমেরিকা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে চেয়েছিল, ইরাককে দখল করে রাখতে চেয়েছিল, ইসরায়েল লেবাননে দখলদারি করতে চেয়েছিল, সৌদি আরব এবং মার্কিনীরা ইয়েমেনকে পদানত করতে চেয়েছিল। জেনারেল সোলেইমানি এই মার্কিন আধিপত্যের সবগুলো পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছেন। মার্কিনীদের সাম্রাজ্য কায়েমের চেষ্টায় তিনি ছিলেন কাঁটার মতো। এটাই তাকে হত্যা করার কারণ।\" ইরানের নেতারা বলছেন, এ হত্যার চরম প্রতিশোধ নেয়া হবে তবে সোলেইমানির শূন্যস্থান পূরণ হবে না, বা তাকে ছাড়া ইরানের আঞ্চলিক নীতি এগিয়ে নিতে সমস্যা হবে - এমনটা মানতে নারাজ মি. মারান্দি। বর্তমানে জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জায়গায় এসেছেন জেনারেল এসমায়েল কানি। যিনি নিজেও একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি। সোলেইমানির যোগ্য সহযোগীদের নিয়ে তিনি নতুন চিন্তা ও নতুন নির্দেশনা নিয়ে সফলভাবে কাজ করবেন বলে মনে করেন মি. মারান্দি। তিনি বলেন, \"জেনারেল সোলেইমানি একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের লোক ছিলেন। তার স্থলে যিনি এসেছেন তিনিও অভিজ্ঞ। তাছাড়া ইরান কোন একক ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই জেনারেল সোলেইমানির স্থান পূরণ হবে না; বিষয়টি এমন নয়।\" তার মানে কি এই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা ভেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা পূরণ হবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে মি. মারান্দি বলেন, \"আমি মনে করি আমেরিকা বোকার মতো কাজ করেছে। এটা ছিল যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এতে ইরান আরও ক্রুদ্ধ হয়েছে, ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে।\" তার মতে, সোলেইমানিকে হত্যা করে আমেরিকা আসলে ইরানকে আরও শক্তিশালী করে দিয়েছে। এতে একজন ইরাকি কমান্ডারও নিহত হওয়ায়, ইরাক ও ইরান উভয় দেশের বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ মারান্দি অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন তিনি যুদ্ধ ঠেকাতেই এ আক্রমণ চালিয়েছেন। এ প্রসঙ্গ তুললে ড. মারান্দি বলেন, \"তিনি (মি. ট্রাম্প) তো নিজেই যুদ্ধে নেমে পড়লেন। আমার মনে হয় না, ইরানের কেউই মি. ট্রাম্পকে গুরুত্বের সাথে নেয়। বরং এই হামলা, আমেরিকার বিরুদ্ধে দুই দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে - যা তাদেরই ক্ষতি করবে।\" ইরান এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলে আসছে, সেই প্রতিশোধ কি ধরণের হতে পারে, সেটা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ইরানিরা পরিশীলিত জাতি, আমেরিকানদের মতো অমার্জিত ও পাশবিক নয় উল্লেখ করে মি. মারান্দি বলেন, \"ইরানিরা রাজনীতি করে দাবা খেলোয়াড়ের মতো। তারা হিসেব করে, অনেক চিন্তা ভাবনা করে এমন কিছু করবে যাতে আমেরিকানরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ করে।\" ইরানের এই প্রতিশোধ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। এ আক্রমণ কি সামরিক হবে না সাইবার আক্রমণ হবে, মধ্যপ্রাচ্যে হবে না উত্তর আফ্রিকায় হবে, নানা জল্পনা চলছে। আসলে কি ঘটবে, এমন কোন ধারণা দিতে পারেননি মি. মারান্দি। তবে তিনি বলেছেন, ইরানি এবং ইরাকিদেরও নানা ধরণের সক্ষমতা আছে। আমেরিকানদের অনেক দুর্বল জায়গা আছে। তার মতে, ইরানিরা অনেক ভাবনাচিন্তা করে উপযুক্ত জবাব কি হবে তা ঠিক করবে - যাতে আমেরিকানদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করতে হয়। তবে কী হবে সেটা এখনই বলা যাবে না। ইরানের বাইরে, পাকিস্তানেও এই হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইরান কোন আক্রমণ চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার পাল্টা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব সামলে নেয়ার ব্যাপারে ইরান কতোটা প্রস্তুত? মি. মারান্দি জানান, ইরান যে আমেরিকাকে শাস্তি দেবে এ নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। \"ইরানিরা যুদ্ধ চায় না। তবে যুদ্ধ বাঁধলে তারা পালিয়ে যাবে না। আমেরিকা যা করেছে তা যুদ্ধের শামিল - তাই আমেরিকাকে, ইরান শাস্তি দেবে। আমেরিকান, সৌদি এবং আমিরাতদের যা আছে ইরান তা সব ধ্বংস করে দেবে। তখন আমেরিকানরা বুঝবে যে তারা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে।\" তিনি বলেন। এক্ষেত্রে ইরানের শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেনসহ, পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল জুড়ে থাকা মিত্র দেশগুলো। এছাড়া মার্কিন শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইরানের অনেক রকম সক্ষমতা আছে বলেও মনে করেন মি. মারান্দি। \"ইরান কঠোর না হলে আমেরিকানরা আবার এমন কাজ করবে। আমেরিকা জানে ইরানে তারা যদি আবার আক্রমণ চালায় তাহলে ইরানের জবাব হবে আরও তীব্র। আমেরিকানরা জানে যে এ যুদ্ধে তারা জিততে পারবে না।\" জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মিত্র দেশগুলোয় প্রভাব ফেলবে বলে জানান মি. মারান্দি। \"ইরান থেকে লেবানন পর্যন্ত যে শিয়া ক্রিসেন্ট রয়েছে তার পাশাপাশি সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানের সুন্নি সম্প্রদায়ও ইরানের মিত্রদেশ। জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুতে তারা এক হয়ে আরও শক্তিশালী হবে। আমেরিকা খুবই বোকার মতো একটা কাজ করেছে।\" ক্ষেপনাস্ত্র সক্ষমতা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ আরও পড়তে পারেন: ইরান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল আসলে কী? সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? ইরান সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকায় তাদের সামরিক সংঘাতে যাবার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে মি. মারান্দি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকেই অনেক বেশি নাজুক অবস্থায় দেখছেন। তার মতে দুই দেশের মধ্যে কোন সংঘাত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি বেশি হবে।", "doc2": "62 yaşlı gerenal İranın Qüds Qüvvələrinin başçısı olaraq Yaxın Şərqdə ölkəsinin hərbi əməliyyatlarına başçılıq edirdi. İran hücumun cavabsız qalmayacağını bildirib. Ölkədə 3 günlük matəm elan olunub. Pentaqon bildirib ki, general amerikalılara hücum planlaşdırdığı üçün ABŞ prezidenti hava həmləsinin həyata keçirilməsi əmrini verib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50064441", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50055045", "doc1": "কুর্দি বাহিনীর সাথে দামেস্কের চুক্তির পর তুর্কি সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তার নির্ধারিত কয়েকটি ঘটনা আমেরিকার মিত্রশক্তি এবং সিরিয়ার কুর্দিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অন্যদিকে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বিরোধী শক্তি অর্থাৎ তুরস্ক, সিরিয়ার বাশার আল আসাদের শাসন ব্যবস্থা, এদের সমর্থক, রাশিয়া ও ইরান এবং জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের জন্য। সিরিয়ার আট বছরের যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র পূর্ণগঠন ও পরিবর্তন করেছে। আর গত এক সপ্তাহ ছিল নতুন আরেকটি বাঁক। সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বুদ্ধিমত্তা তাকে এ বিষয়ে আগেই আভাস দিয়েছিল। অথবা তার নিজের সহজাত প্রবৃত্তির উপর নির্ভর করার অভ্যাস, মধ্যপ্রাচ্যের জটিল পরিস্থিতির বিষয়ে তাকে মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে তাড়িত করেছে। বিদেশি অনুঘটক তুরস্কের সাথে সীমান্তের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে যে, সিরিয়ার ভাগ্য দেশটির নিজস্ব জনগণ নয় বরং বিদেশিরা নির্ধারণ করবে। বারবার এ ধরণের হস্তক্ষেপ সিরিয়ার যুদ্ধকে উস্কে দিয়েছে এবং টিকিয়েও রেখেছে। সিরিয়ায় প্রভাব এবং শক্তির প্রতিযোগিতা সম্পর্কে লিখতে হলে এ যুদ্ধের শিকার মানুষদের ভোগান্তির বর্ণনার মধ্য দিয়ে তা শুরু করতে হবে। প্রতিটি সামরিক পদক্ষেপই বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ধ্বংস এবং মৃত্যু ডেকে এনেছে। এ ধরণের নির্দেশ যেসব নেতারা দিয়েছে তাদের সবার ওই মানুষদের ভোগান্তির ভিডিও দেখা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এসব চিত্র অনলাইন কিংবা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। ট্রাম্পের বর্ণিত সীমাহীন যুদ্ধাবস্থা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তুরস্ককে সিরিয়ায় সেনা অভিযানের সবুজ সংকেত দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন, এসডিএফ বা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে চান তিনি, কারণ তারা তার নিজের দেশের কুর্দি বিদ্রোহীদের মিত্র বাহিনী। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সীমান্তের উভয় পার্শে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা এবং ২০ মাইল জুড়ে একটি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল তৈরি করা। ওই এলাকায় তিনি ১০ লাখেরও বেশি সিরিয় শরণার্থীকে প্রত্যাবাসন করতে চান। আরো পড়ুন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি আইএস'এর বিদেশি যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে কারা? তুরস্কের অভিযানের শিকার কুর্দি জনগোষ্ঠী কারা? যুক্তরাষ্ট্র যখন সিরিয়ার কুর্দি এবং আরবদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিতে চাইলো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, তখন তাদের ভাবী- কুর্দি মিত্রদেরকে জঙ্গি হিসেবে দেখছিল আরেক ন্যাটো মিত্র দেশ তুরস্ক। তবে ভবিষ্যতে এ নিয়ে সমস্যা হতে পারে জেনেও একে না দেখার ভান করেছিল ওয়াশিংটন। আর এখন সেই ভবিষ্যতটিই চলে এসেছে, আর সমস্যাটিও বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে, মুষ্টিমেয় কিছু মার্কিন সেনা সিরিয়ার কুর্দিদের জন্য নিরাপত্তার প্রতীক হয়েছিলো। কট্টরপন্থী জিহাদি গ্রুপ আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্র হয়ে উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশ বিমান শক্তি এবং বিশেষ বাহিনীর সেনাদের পাঠালেও যুদ্ধক্ষেত্রে লড়েছে এবং প্রাণ দিয়েছে কুর্দি সেনারা। যখন কথিত ওই খিলাফতের ও আইএসের পতন হল, কুর্দিরা জড়ো হয়ে হাজার হাজার জিহাদি যোদ্ধাকে বন্দী করলো। পরিবর্তিত পরিস্থিতি সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত শহরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক ও মিত্রশক্তি তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কয়েকটি টুইট করতে যে সময় লাগে, তার চেয়েও কম সময়ে কুর্দিরা বুঝেছিল যে তাদেরকে বর্জন করা হয়েছে এবং এটি আমেরিকার সামরিক বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার কুর্দিদের বর্জন করার অভিযোগ নাকচ করে দেন। কিন্তু যেভাবে তুর্কিরা অগ্রসর হচ্ছে এবং আমেরিকানরা চলে যাচ্ছে, তাতে কুর্দিরা সেই আশ্বাস পাচ্ছে না। নিজের অস্থির ইতিহাসে আবারো বিদেশি শক্তির নিগৃহীত মিত্র শক্তি হিসেবে নিজেদের পেলো কুর্দিরা। তারা আবারো নিজেদের পুরনো শত্রু দামেস্কের দিকেই ফিরে গেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও ভারত বিরোধিতা অভিজিৎ ব্যানার্জীর নোবেল নিয়ে বিজেপি কেন নিস্পৃহ সুন্দরবনে বনদস্যুরা কী আবার ফিরে আসছে? মানবাধিকারের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছেন অমিত শাহ? রোববার কুর্দি ঘোষণা করেছে যে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাথে একটি চুক্তি সই করেছে তারা। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১২ সালের পর থেকে তুরস্কের সাথে সীমান্তের যেসব এলাকায় দামেস্ক নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি সেসব এলাকাতেও প্রবেশাধিকার পাচ্ছে আসাদ সেনারা। এটা বাশার আল আসাদের শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় জয়। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যেসব ঘাঁটি রক্ষণাবেক্ষণ করতো সেনারা সেগুলো থেকে দ্রুত সরে গেছে। আসাদের অনুগতরা সিরিয়ার পতাকা উত্তোলন করেছে। আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতির জন্য এই দিনটি ছিল একটি ভয়াবহ দিন। কুর্দিদের মিত্র বাহিনী, সিরিয়ার একাংশে তাদের নিজেদের পরিচালিত শাসনের নিরাপত্তা, সব মিলিয়ে যুদ্ধাবসানের খেলায় আমেরিকানদের একটা পক্ষ দিয়েছিল। এটা ছিল আসাদ সাম্রাজ্যের সমর্থক শক্তি: রাশিয়া ও ইরানকে দূরে রাখার একটি উপায়ও। আমেরিকানদের বিদায় এবং সিরিয় বাহিনীর অগ্রসর হওয়াটাও তাদের জন্য জয়। এর মধ্য দিয়ে জিহাদি চরমপন্থি ইসলামি স্টেটের পুনরুত্থানেরও একটি সুযোগ তৈরি হল। টেলিগ্রাম নামে একটি বার্তা পাঠানোর অ্যাপে তারা সিরিয়ায় নতুন করে সহিংসতা ছড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা তাদের দখলকৃত এলাকা বা খিলাফত হারিয়েছে, কিন্তু যারা কারাগারের বাইরে ছিল তারা নিজেদেরকে স্লিপার সেলের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে গেরিলা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসাদের জন্য জয় জাতীয় পতাকা উড়াচ্ছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর এক সেনা সদস্য এখন কুর্দিরা ধুঁকছে, এই সুযোগে তারা কুর্দিদের কারাগারে আটক হাজার হাজার যোদ্ধাকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের অনেকেই কুখ্যাত খুনি যারা আবারো বন্দুক এবং গ্রেনেড বহনের সুযোগ পেলে একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। আর এটা শুধু সিরিয়ার জন্য হবে না বরং তার আরো দূরেও ছড়িয়ে পড়বে। বস্তুত বলতে গেলে, পশ্চিমা সরকার গুলো নতুন করে আইএসের হুমকি সামলানোর বিষয়ে বেশ ভয়ে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট যখন ইউরোপের দরজার কড়া নাড়তে আসে ঠিক সেই মুহূর্তে অভিযান বন্ধ করতে তুরস্ককে আহ্বান জানায় পশ্চিমা সরকারগুলো। অনেক ন্যাটো সদস্যই সিরিয়া নতুন একটি দুঃস্বপ্নকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখছেন। যারা রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে আরেক ন্যাটো সদস্য তুরস্কের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তারা। রাশিয়া বলছে যে তারা তুরস্কের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখে চলছে। কিন্তু যুদ্ধের চলমান পরিস্থিতিতে, ভুল বোঝার এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সংকট বাড়ার আশঙ্কা সব সময়ই থাকে। সম্ভবত গত সপ্তাহ যা ঘটেছে তা সিরিয়া যুদ্ধের সমাপ্তিকে অনেকটা সহজই করেছে। যুদ্ধের দুই প্রধান পক্ষ আমেরিকা এবং কুর্দিরা পুরো চিত্র থেকে মুছে গেছে। এবং প্রেসিডেন্ট আসাদ তার মিত্র দেশ রাশিয়া এবং ইরানকে নিয়ে সিরিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধে নিজেদের জয়কে আরো পোক্ত করবে।", "doc2": "Dəməşq kürd qüvvələri ilə anlaşma əldə etdikdən sonra Suriya rejiminin əsgərləri Türkiyə sərhədinə doğru irəliləyir. Onun hərəkətiylə başlayan hadisələr silsiləsi ABŞ-ın müttəfiqi olan Suriya kürdlərinə xəyanət halına gətirib çıxarmaqla yanaşı, Türkiyə, Suriyanın prezident Bəşər əl-Əsəd rejimi və onu dəstəkləyən Rusiya və İran, eləcə də İŞİD-in cihadçı ekstremistləri qarşısında müxtəlif imkanlar açıb. Suriyada səkkiz il davam edən müharibə Yaxın Şərqi dəyişib. Son həftə ərzində daha bir dönüş nöqtəsi olub. İllər ərzində aydın idi ki, Suriyanın taleyini suriyalılar yox, xaricilər həll edəcək. Təkrar müdaxilələr müharibənin davamına və güclənməsinə səbəb oldu. Suriyaya vəziyyətə nəzarət uğrunda mübarizə haqqında yazı müharibə qurbanlarından başlamalıdır. Müharibənin gedişində hər bir dönüş anı mülki əhali üçün fəlakət və itkilər deməkdir. Əmrlər verən liderlər üçün mülki əhalinin çəkdiyi əzabı göstərən videolara baxış icbari olmalıdır. Həmin videoları internet və televiziyadan tapmaq çətin deyil. Prezident Trump-ın ABŞ-ı sonu görünməyən müharibədən çıxarmaq qərarı Türkiyəyə Suriyaya qoşun göndərilməsi üçün yaşıl işıq verdi. Türkiyə prezidenti Recep Tayyip Erdoğan bəyan edib ki, onun hədəfi öz ölkəsindəki kürd üsyançılarının müttəfiqi olan SDQ (Suriya Demokratik Qüvvələri) kürdləridir. Onun planı Suriyanın şimal-şərqində, sərhədin hər iki tərəfinə nəzarət etmək və 32 km dərinlikdə bir işğal zonası qurmaqdır. O, həmin zonaya bir milyon və ya ondan daha çox suriyalı qaçqını köçürmək istəyir. ABŞ İŞİD-ə qarşı döyüşlər aparmaq üçün suriyalı kürdlərə və onlarla yanaşı bəzi ərəblərə təlim keçirəndə amerikalıların bu potensial problemdən, Türkiyənin onların kürd müttəfiqlərini terrorçu saydıqlarından xəbəri var idi. Washington gələcəkdə yarana biləcək bu problemə göz yumdu. İndi həmin o gələcək artıq yetişib. Bir həftə əvvəl az sayda ABŞ qoşunu İŞİD-ə qarşı müharibədə mühüm müttəfiqə çevrilmiş Suriya kürdləri üçün təhlükəsizlik zəmanətinin real rəmzi kimi görünürdü. ABŞ, İngiltərə və digərləri hava dəstəyini və xüsusi təyinatlı qoşunları təmin edərkən kürdlər müharibə gedən ərazilərdə döyüşürdü və ölürdülər. İŞİD-in elan etdiyi xilafət süquta uğrayanda kürdlər minlərlə cihadçı döyüşçünü mühasirəyə alaraq həbs etdilər. Lakin tez bir zamanda Suriya kürdləri tərk edildiklərini anlamağa məcbur oldular və bu, ABŞ hərbiyyəsi sıralarında ciddi narahatlıqla qəbul olundu. ABŞ Müdafiə naziri Mark Esper kürdlərin tərk edildiklərini inkar edib. Ancaq türklərin irəliləməsi və amerikalıların bölgəni tərk etməsi suriyalı kürdlərdə məhz belə hiss yaradır. Təlatümlü tarixləri boyu kürdlər bir daha xarici bir gücün istifadə edilib atılan müttəfiqləri oldular. Onlar Dəməşqdəki əzəli düşmənlərinə müraciət etdilər. Bazar günü kürdlər, Suriya prezidenti Bəşər Əsəd rejimi ilə sövdələşmə əldə etdiklərini bildiriblər. Həmin sövdələşməyə görə, Əsədin qoşunları 2012-ci ildən bəri Dəməşq tərəfindən nəzarət edilməyən və Türkiyə ilə sərhədədək uzanan ərəziyə irəliləyə bilər. Bu, rejim üçün böyük bir qələbədir. Qoşunlar şimal-şərqdəki bazalarından sürətlə hərəkətə keçib. Əsəd tərəfdarları gizlətdikləri rejim bayraqlarını yenidən qaldırdılar. ABŞ-ın Yaxın Şərq siyasəti üçün bu, fəlakətli bir gün idi. Kürdlərlə ittifaq və Suriyada onların muxtariyyatına verilən təhlükəsizlik zamanəti ABŞ-a müharibənin sonundakı oyunda iştirak etmək imkanı verirdi. Bu, həm də Əsəd rejimini dəstəkləyən Rusiya və İrana qarşı təzyiq yolu idi. Amerikalıların bölgədən çıxması və Suriya ordusunun irəliləməsi onların da qələbədir. Türkiyə tərəfindən dəstəklənən suriyalı döyüşçülər Türkiyənin və müttəfiqlərinin Suriyanın şimal-şərqində kürdlərin nəzarətində olan zonada əməliyyatı davam etdirirlər. İŞİD-in cihadçı ekstremistləri qarşısında da yeni imkanlar açılır. Telegram mesajlaşma tətbiqində onlar Suriya boyu yeni bir zorakılıq kampaniyasını elan ediblər. Onlar ərazilərini, \"xilafəti\" itiriblər, lakin həbsxanadan və ya qəbirdən kənarda qalanlar yenidən təşkilatlanaraq partizan hücumlarını keçirmək üçün müəyyən dövrə kimi özünün mövcudluğunu bildirməyən özəklər yaradıblar. Kürdlərin özlərini itirdiyini nəzərə alaraq onlar indi kürd həbsxanalarında saxlanılan minlərlə döyüşçünü azad etmək şansının yarandığını görürlər. Onlardan bəziləri bədnam qatillərdir, onlar azadlığa çıxsa və əlləri yenidən silah və bombalara çatsa, təkcə Suriyada deyil, daha geniş ərazidə ciddi bir təhlükəyə çevrilə bilərlər. Odur ki, Qərb hökumətlərinin yenilənmiş İŞİD təhlükəsindən narahat olmağa əsasları var. Yaxın Şərqdəki problemlər qapılarını döydükdə baş verənlərdən narahat olan Avropa hökumətləri Türkiyəni hücumu dayandırmağa çağırır. NATO-nun bəzi üzvləri dəhşətli ssenariləri təsvir edirlər - misal üçün Rusiya tərəfindən dəstəklənən Suriyanın potensial olaraq, NATO üzvü olan Türkiyə ilə qarşı-qarşıya gələ biləcəyini istisna etmirlər. Ruslar Türkiyə ilə mütəmadi təmasda olduqlarını söyləyirlər. Dəyişən müharibə meydanında həmişə anlaşmazlıqların, səhvlərin və eskalasiyaların baş verməsi potensialı var. Son bir həftədə baş verənlər güman ki, Suriya müharibəsinin sonunu sadələşdirir. İki əsas oyunçu, ABŞ və kürdlər, görünür, oyundan kənar qalan kimi görünürlər. Prezident Əsəd isə müttəfiqləri Rusiya və İranla birlikdə Suriyanın fəlakətli müharibəsində qələbələrini möhkəmləndirməkdə davam edirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51116065", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51116706", "doc1": "ইরানের ছোঁড়া মিসাইলেই কি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে? ধারণা করা হচ্ছে যে, গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অভিযোগ আনা হবে। ফ্লাইট পিএস-৭৫২ বুধবার তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর পরই ভূপাতিত করা হয় যাতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়। ইরান বলে যে, ভুল করে বিমানটি ভূপাতিত করা হয় এবং এ ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটকের কথাও জানায় দেশটি। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, তার দেশের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবে একটি 'বিশেষ আদালত'। এক ভাষণে তিনি বলেন, \"এটি নিয়মিত এবং সাধারণ কোন ঘটনা হবে না। পুরো বিশ্ব এই আদালতের উপর নজর রাখবে।\" মিস্টার রুহানি জোর দিয়ে বলেন যে, 'মর্মান্তিক ঘটনা'র জন্য কোন একজন ব্যক্তিকে দোষারোপ করা উচিত নয়। বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে অমার্জনীয় ভুল বলে উল্লেখ করেছেন মিস্টার রূহানি \"এর পেছনে শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না যিনি ট্রিগার চেপেছেন, বরং অন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাও দায়ী,\" তিনি বলেন। ইরান প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে বিমানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে, কিন্তু পরে স্বীকার করে নেয় যে যাত্রীবাহী জেটটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শিকার হয়েছে। ভিডিওটি যখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশ্লেষকরা বলেন যে, এটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের শিকার হয়েছে। কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ইরানের গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলছে যে, ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ড, গত সপ্তাহে বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে এমন একজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু লন্ডনভিত্তিক ইরানের একজন সাংবাদিক যিনি প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে, তার সূত্র নিরাপদে রয়েছে এবং ইরানী কর্তৃপক্ষ ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে মঙ্গলবার, ইরানের বিচারবিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন এসমাইলি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। \"অবৈধভাবে সভা-সমাবেশ করার\" অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে- সম্প্রতি হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভের স্পষ্ট উল্লেখ এটি। এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে বিমানটিকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সংবাদপত্রটি বলে যে, এর থেকেই বোঝা যায় যে কেন বিমানের ট্রান্সপন্ডার কাজ করছিল না, কারণ প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটির মাধ্যমে এটি অচল করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য দেশ কী বলছে? যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিবিসিকে মঙ্গলবার বলেন, বিমান বিধ্বস্ত করে 'ভয়ানক ভুল' করার কথা যে ইরান স্বীকার করেছে তাতে তিনি 'খুশি' হয়েছেন। \"এটা ভাল যে তারা ক্ষমা চেয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় যে বিষয় তা হচ্ছে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা শান্ত হোক,\" তিনি বলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত ফ্লাইট পিএস৭৫২ এর নিহত আরোহী এবং ক্রুদের \"মরদেহগুলোকে সম্মানের সাথে\" হস্তান্তর করা। মিস্টার জনসন বলেন যে, ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত ফ্লাইট পিএস-৭৫২ এর নিহত আরোহী এবং ক্রুদের \"মরদেহগুলোকে সম্মানের সাথে\" হস্তান্তর করা, যার মধ্যে তিন জন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন। আরো পড়ুন: ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো ইরানের কাছ থেকে জবাব আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর যে কারণে ইরান-আমেরিকা সংকটের সমাধান নেই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিস্তাইকো সোমবার বলেছিলেন, এ ঘটনার আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করতে বিমানে থাকা নিহত নাগরিকদের ৫ দেশ যথা- কানাডা, ইউক্রেন, আফগানিস্তান, সুইডেন এবং অন্য আরেকটি দেশ বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাক্ষাৎ করবে। তিনি বলেন, \"দুঃখ ভারাক্রান্ত দেশগুলোর\" ঠিক করা উচিত যে তারা একক এবং যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নেবে যাতে এ ঘটনায় জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনা যায় এবং স্বজনহারা পরিবারগুলোকে কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়।\" কানাডার পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের প্রধান ক্যাথি ফক্স বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োজনের বাইরে গিয়েও বিমান ভূপাতিতের তদন্তে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে দেশটি। এই ঘটনায় কানাডার ৫৭ জন নাগরিক নিহত হয়েছে।", "doc2": "Saxlanan şəxsə qarşı milli təhlükəsizlik barədə ittihamların irəli sürüləcəyi gözlənilir. PS752 təyyarəsi keçən həftənin çərşənbə günü Tehranda havaya qalxdıqdan sonra düşürülüb və nəticədə göyərtədə olan 176 nəfər ölüb. İran təyyarənin səhvən vurulduğunu və hadisə ilə bağlı bir neçə nəfərin həbs edildiyini bildirib. İran Prezidenti Həsən Ruhani deyib ki, ölkəsinin araşdırması \"xüsusi məhkəmədə\" aparılacaq. \"Bu, müntəzəm və adi məhkəmə işi olmayacaq. Bütün dünya bu məhkəməni izləyəcək\", o, çıxışında bildirib. Cənab Ruhani vurğulayıb ki, \"faciəvi hadisədə\" təkcə bir nəfər günahlandırılmamalıdır. \"Bu, yalnız tətiyi çəkən şəxs deyil, həm də məsuliyyət daşıyan insanlardır\" deyib. İran ilk öncə təyyarənin raketlə vurulması iddialarını rədd etsə də, sonradan onun ölkənin hava müdafiə sistemləri vasitəsilə vurulduğunu etiraf edib. Təyyarənin vurulması anının videosunun sosial mediada yayılması təhlilçilərə onun raketlə vurulmasını deməyə imkan verib. Həbs edilən kimdir? İran mətbuatı yazır ki, İranın İnqilab Keşikçiləri ötən həftə təyyarənin vurulma anı videosunu internetə yükləyən şəxsi təcridxanaya aparıblar. Lakin görüntüləri ilkin olaraq paylaşan, Londonda yaşayan iranlı jurnalist yazır ki, onun xəbər mənbəyi təhlükəsizlikdədir və İran hakimiyyəti yalnış insanı saxlayıb. Çərşənbə axşamı günü İranın ədliyyə sözçüsü Gholamhossein Esmaili təyyarənin düşürülməsi ilə əlaqədar bir neçə nəfərin saxlandığını deyib. O, bildirib ki, 30 nəfərə yaxın adam \"qanunsuz yığıncaqlarda iştirak etməyə\" görə həbs olunub. \"The New York Times\" yazır ki, təhlükəsizlik kameralarının görüntüləri təyyarəni təxminən 20 saniyə ara ilə iki raketin vurduğunu göstərib. Digər ölkələr nə deyir? Böyük Britaniyanın Baş naziri Boris Johnson çərşənbə axşamı günü BBC-yə deyib ki, o, İranın təyyarəni vurması ilə \"dəhşətli səhvə\" yol verdiyini anladığına görə \"şaddır\". \"Onların üzr istəməsi yaxşıdır. İndi əsas məsələ regionda gərginliyin azalmasıdır\", - o bildirib. Ukraynanın Xarici İşlər naziri Vadim Pristaiko bazar ertəsi günü deyib ki, vətəndaşlarının göyərtədə olduğu beş ölkə - Kanada, Ukrayna, Əfqanıstan, İsveç və adı çəkilməmiş bir ölkə - cümə axşamı günü Londonda görüşüb mümkün qanuni addımlar barədə müzakirələr aparacaqlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48276302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-48295913", "doc1": "মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মি: পম্পেও এ মন্তব্য করেন। রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি 'স্বাভাবিক দেশের' মতো আচরণ করে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার স্বার্থ আক্রান্ত হলে তারা সমুচিত জবাব দেবে। ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ হবেনা। গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায়না। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়াকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ সেটি নাকচ করে দিয়েছে। মি: ল্যাভরভ বলেন, যেভাবে নিকোলাস মাদুরোকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটি 'অগণতান্ত্রিক'। আরো পড়ুন: ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ইরান কী বলেছে? এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লাহ খামেনির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন সেটির বদলে ভিন্ন কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে কোন আপোষ করবে না ইরান। মি: খামেনি বলেন, \"আমরা যুদ্ধ চাইনা, তারাও যুদ্ধ চায়না।\" সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে মি: রুহানি বলেন, ইরানকে কেউ ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে। গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক 'অন্তর্ঘাতী আক্রমণের' ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ ডলার 'ঘুষ' দিলো শিশু", "doc2": "İranın xarici İşlər naziri Məhəmməd Cavad Zərif bildirib ki, prezident Trump-ı onun ətrafındakı bəzi adamlar müharibə etməyə sürükləyirlər. Məhəmməd Cavad Zərif İranın IRNA dövlət xəbər agentliyinə deyib ki, Tehran müharibə istəmir və \"İranla toqquşmağı düşünən ölkə\" yoxdur. Şənbə günü Çinə səfərinin sonunda Irna agentliyinə danışan Məhəmməd Cavad Zərif bildirib ki, prezident Trump müharibə etmək istəmir, lakin onun çevrəsindəki bəzi adamlar \"ona təzyiq göstərirlər ki, o, müharibə etsin\". İki ölkə arasında gərginlik ötən ildən, prezident Trump 2015-ci ildə İranın nüvə proqramına dair bağlanmış beynəlxalq müqavilədən ABŞ-ın çıxdığını elan edəndən sonra artmağa başlayıb. Həmin müqavilənin məqsədi İranın nüvə proqramının dayandırılması müqabilində ona qarşı sanksiyaları ləğv etmək olub. Trump həmin sövdələşməni \"qüsurlu\" adlandıraraq İrana qarşı ABŞ sanksiyalarını bərpa edib. ABŞ-ın addımına cavab olaraq, İran bu ayın əvvəlində qeyd olunan müqavilə çərçivəsində öz öhdəliklərini dayandıraraq uranın zənginləşdirilməsini bərpa edəcəyi barədə xəbərdarlıq edib. Bu arada isə ABŞ \"İran təhlükəsini\" əsas tutaraq hərbi gəmi və təyyarələrini İran körfəzində yerləşdirib və İranın ABŞ qüvvələrinə yaratdığı \"potensial riski\" dilə gətirərək, İraqdan diplomatik personalının bir hissəsini çıxarıb. ABŞ müstəntiqləri İranı və ya onun dəstəklədiyi qrupları Birləşmiş Ərəb Əmirliklərinin (BƏƏ) sahilyanı zonasında dörd neft tankerinə partlayıcı maddələrdən istifadə edərək zərər vurmaqda ittiham ediblər. Tehran bu ittihamları rədd edib. Hər iki tərəfdən liderlər müharibə istəmədiklərini desələr də, İran körfəzində vəziyyət gərgin olaraq qalır. Şənbə günü ABŞ-ın BƏƏ və Küveytdəki diplomatları ABŞ Aviasiya Administrasiyasına istinadən bildiriblər ki, bölgədə yerinə yetirilən kommersiya məqsədli uçuşlar \"identifikasiyası səhv salınmaq\" təhükəsilə qarşılaşa bilər. Dəniz nəqliyyatı istifadəçilərinə xidmət göstərən Lloyds of London sığrta bazarı da cümə günü İran körfəzi ətrafında \"yüksək risk zonası\" sayılan sahənin coğrafiyasını genişləndirdiyini bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50546515", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50542545", "doc1": "চীনা সরকার বলছে, এগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সন্ত্রাসবাদ দমনে সেখানে মুসলিমদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে এ ধরনের গোপন বন্দীশালার কথা চীন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে, এবং চীন বলে থাকে যে মুসলিমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে। তাদের দাবি, এগুলো আসলে প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা শিবির। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে যেসব ফাঁস হওয়া গোপন দলিলপত্র হাতে পেয়েছে, তাতে দেখা যায় কীভাবে এই উইগার মুসলিমদের বন্দী করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের এই দলে রয়েছে বিবিসিসহ ১৭টি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক। যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা ভুয়া খবর। ধারণা করা হয়, এসব শিবিরে দশ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বিনা বিচারে আটক করে রাখা হয়েছে যাদের বেশিরভাগই উইগার সম্প্রদায়ের সদস্য। শিনজিয়াং প্রদেশে একজন মুসলিম আজান দিচ্ছেন, ছবিটি ২০০৮ সালের। এসব গোপন বন্দীশালার ছবি বিশ্ব এর আগেও দেখেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা উঁচু প্রাচীর ঘেরা এসব বন্দী শিবিরের ছবি। দেখেছে শিবিরের ভেতর থেকে তোলা ছবি, যেগুলো গোপনে বাইরে পাচার করা হয়েছে। বেইজিং দাবি করে যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গত তিন বছর ধরে এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন ফাঁস হওয়া দলিলপত্র থেকে পরিষ্কার এসব শিবিরের ভেতরে আসলে কী ঘটছে। বিবিসির কাছে যেসব দলিল এসেছে, সেগুলো মূলত কীভাবে এই বন্দী শিবির চালাতে হবে তার নির্দেশনা। শিবিরের কর্মকর্তাদের জন্য লেখা এসব নির্দেশাবলী। শিনজিয়াং কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি ঝু হাইলুন ২০১৭ সালে নয় পৃষ্ঠার এই সরকারি দলিল পাঠিয়েছিলেন - যারা এসব শিবির পরিচালনা করেন তাদের কাছে। এসব নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই শিবিরগুলো অত্যন্ত সুরক্ষিত জেলখানার মতো চালাতে হবে, বজায় রাখতে হবে কঠোর শৃঙ্খলা এবং কেউ যাতে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। একটি বন্দী শিবিরের প্রাচীর। সরকারের এসব নির্দেশনার মধ্যে ছিল: এসব দলিলে দেখা গেছে শিবিরে বন্দী উইগারদের জীবনের ওপর কীভাবে নজর রাখা হচ্ছে ও কতোটা নিয়ন্ত্রণের ভেতরে তাদেরকে রাখা হয়েছে। যেমন: \"শিক্ষার্থীদের বিছানা কোথায় কীভাবে থাকবে, কে লাইনের কোথায় দাঁড়াবে, শ্রেণীকক্ষের কোথায় বসবে, কে কী শিখবে - সেগুলো সব নির্ধারিত থাকবে। এগুলো পরিবর্তন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।\" এসব নির্দেশনায় ঘুম থেকে ওঠা, রোল কল করা, কাপড় ধোওয়া, টয়লেটে যাওয়া, ঘর গুছিয়ে রাখা, খাওয়া দাওয়া, লেখাপড়া, ঘুমানো এমনকি দরজা বন্ধ করার বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন মুখপাত্র সোফি রিচার্ডসন বলছেন, এসব দলিল আসলে এমন একটি প্রমাণ যার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যায়। \"এটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রামাণিক দলিল। এই প্রমাণ এখন থাকা উচিৎ কোন বিচারিক তদন্ত কর্মকর্তার ফাইলে,\" বলেন তিনি। ব্রাসেলসে এক নারী উইগারদের বন্দী করে রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবিরে উইগুর মুসলিমরা চীনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান আটকে শঙ্কিত জাতিসংঘ চীন ১০ লাখ উইগুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে? যেসব নিষ্ঠুরতার কথা আছে এই দলিলে, তা সাবেক বন্দীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে ভালো করেই জানেন। এরকম একজন ইয়ো জান। তাকে রাতের বেলায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এর পর তাকে এক বছর আটকে রাখা হয় বন্দী শিবিরে। তিনি বলেন, \"ওরা আমাকে উলঙ্গ করে পায়ে শেকল পরিয়ে দিল। খুবই ভীতিকর অভিজ্ঞতা। ওরা আমাদের মানুষ বলে গণ্য করতো না। সেখান থেকে জীবিত বেরিয়ে আসতে পারবো বলে ভাবিনি কখনো।\" ইয়ো জান তার যে অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন, সেটা বন্দী শিবিরে আটক আরও লাখ লাখ উইগার মুসলিমেরই কাহিনি। চীনা সরকার বিদেশি সাংবাদিকদের অবশ্য এসব শিবির ঘুরিয়ে দেখিয়ে দাবি করেছে যে সন্ত্রাসবাদ দমনে সাহায্য করছে এসব শিবির। এখানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নতুন দক্ষতা অর্জন করছে। কিন্তু আইসিআইজের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা বলছেন, এখন ফাঁস হওয়া দলিলপত্রে বোঝা যায়, এসব শিবিরের আসল উদ্দেশ্য আসলে কী। বিশ্ব উইগার কংগ্রেসের আইনি উপদেষ্টা বেন এমারসন বলেন, চীন এখন বিশ্বের এক বড় পরাশক্তি, কিন্তু তারা নিজের জনগণকে আটকে রাখছে, যতক্ষণ না তারা তাদের বিশ্বাস, ভাষা এবং নিজস্ব জীবনযাত্রা পুরোপুরি বদলে ফেলছে। \"এটাকে গণহারে মগজ ধোলাই ছাড়া অন্য কিছু ভাবা আসলেই কঠিন। একটি পুরো জাতিগোষ্ঠীকে টার্গেট করে এই কাজ চালানো হচ্ছে।\" সরকারি নির্দেশাবলীর একটি। লন্ডনে চীনের রাষ্ট্রদূত লিও যাও মিং এসব বন্দী শিবিরের ব্যাপারে বিবিসির সরাসরি প্রশ্নের কোন জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কিন্তু এর আগে গত সপ্তাহে তিনি হংকং-এর ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। সেখানে বিবিসির সাংবাদিক রিচার্ড বিল্টন তাকে এসব বন্দী শিবির নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, \"প্রথমত বলতে চাই, আপনি যেরকম বর্ণনা দিচ্ছেন, সেরকম কোন বন্দী শিবির সেখানে নেই। এগুলো আসলে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে তাদের রাখা হয়েছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের জন্য।\" রিচার্ড বিল্টন এরপর পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তার মানে তিনি যা দেখে এসেছেন, তা সত্য নয়? \"আপনি যে তথাকথিত দলিলের কথা বলছেন, সেটা পুরোটাই বানোয়াট। ভুয়া খবরে বিশ্বাস করবেন না। বানানো গল্প শুনবেন না,\" চীনা রাষ্ট্রদূতের জবাব। কিন্তু আইসিআইজের সাংবাদিকরা বলছেন, \"এসব দলিল আসলে মোটেই ভুয়া নয়, এগুলো মানবতা-বিরোধী অপরাধের প্রমাণ। চীন হাজার হাজার মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে তাদের মগজ ধোলাই করছে, এবং এখন আমরা জানি কীভাবে সেটা করা হচ্ছে।\"", "doc2": "Çin hökuməti bu günədək bu düşərgələrin könüllü təhsil və təlim mərkəzi olduğunu deyirdi. BBC Panoramanın gördüyü rəsmi sənədlər məhbusların necə saxlanıldıqlarını, təhqir edildiklərini və cəzalandırıldıqlarını göstərir. Çinin İngiltərədəki səfiri sənədlərin saxta məlumatlar olduğunu deyib. Məlumatlar İngiltərənin BBC Panorama və Guardian qəzetinin də daxil olduğu 17 media müttəfiqi ilə işləyən Beynəlxalq Araşdırmaçı Jurnalistlər Konsorsiumuna sızdırılıb. Araşdırmalar son üç il ərzində yaradılan saxlanma düşərgələrində Çin hökumətinin dediyi kimi ekstremizm əleyhinə təlimlərin aparıldığı iddialarını rədd edib. Əsas hissəsinin müsəlman uyğur icmasından olduğu bir milyona yaxın insanın hər hansı məhkəmə keçirilmədən bu düşərgələrdə saxlanıldığı deyilir. Sızdırılan məlumatlarda yer alan təlimatlarda düşərgələrin yüksək təhlükəsizliyinin təmin olunması, sərt intizamın olması, cəzaların tətbiq edilməsi və məhbusların qaçışına imkan verilməməsi əksini tapır. Təlimatlarda \"heç vaxt qaçışlara icazə verilməməsi\", \"intizam və cəzaların artırılması\", \"tövbə və etirafın təşfiqi\" və s. yer alır. Sənədlərdə məhbusların həyatının hər bir anının necə izlənildiyi göstərilir. Human Rights Watch insan haqları təşkilatının Çin üzrə direktoru Sophie Richardson deyib ki, bu məlumatlar iittihamçılar tərəfindən istifadə olunmalıdır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48752899", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-48751251", "doc1": "২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে চুক্তি করে ইরান মিস্টার ট্রাম্প বলছেন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলছেন এটি বলেছেন আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে। এক টুইট বার্তায় মিস্টার জারিফ ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুক্তির পর শক্তিশালী হতে শুরু করে ইরানি অর্থনীতি কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে আটজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা বলছে মিস্টার ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অফিসও। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মিস্টার খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: আরবরা কি ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কার্যকর অলরাউন্ডার সাকিব আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মিস্টার এমনুচিনে মতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখন নিষেধাজ্ঞা কেনো? ২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দু দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে। আরো পড়ুন: সাইবার হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিকল? 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা। পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে। উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে আগুন এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিলো আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো। ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে যে ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন। রিভলিউশনারি গার্ডের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন ড্রোনের কাছ দিয়েই উড়ে যাচ্ছিলো একটি সামরিক এয়ারক্রাফট যাতে ৩৫ জন যাত্রী ছিলো। তিনি বলেছেন সেটিও তারা ভূপাতিত করতে পারতেন কিন্তু করেননি।", "doc2": "Cənab Trump deyib ki, yeni sanksiyalar ABŞ dronunun vurulması və \"digər bir çox şeylərə\" cavabdır. İki ölkə arasında gərginlik son həftələrdə daha da yüksəlməkdə idi. Keçən həftə İran Körfəzdə pilotsuz ABŞ dronunu vurub salmışdı. İran xarici işlər naziri Cavad Zərif sanksiyaların imzalanmasından sonra Twitterdə Trump administrasiyasının \"müharibəyə susadığını\" yazıb. ABŞ Xəzinə katibi Steve Mnuchin deyib ki, Trump-ın icra - iranlıların \"milyardlarla\" dollarlarını bloklayacaq əmri Tehranın keçən həftə körfəzdə ABŞ-ın pilotsuz dronunu vurmasından daha əvvəl hazırlanırdı. BMT Təhlükəsizlik Şurası tərəfləri sakit olmağa və diplomatiyadan istifadə etməyə çağırıb. Yeni sanksiyalar Ali Dini Liderə də şamil olunacaq. Ayətulla Əli Xameneyinin hədəflənməsinə səbəb, Trump-ın təbirincə, \"rejimin düşmən davranışına məsuliyyət daşıması\" olub. Sanksiyalar \"Tehrana təzyiqləri artırmaqda davam edəcək\" - cənab Trump deyib və əlavə edib ki, \"İran heç zaman nüvə silahına sahib ola bilməyəcək\". BBC müxbiri Barbara Usher-Plett yazır ki, Ayətulla Əli Xameneyiyə sanksiya qoyulması əhəmiyyətlidir. \"O, İranın Ali Dini Lideridir, İran siyasəti və hərbiyyəsində son söz ona məxsusdur və onun çox böyük iqtisadi gücü var. Setad kimi tanınan təşkilatı idarə edən Xameneyi təqribən 95 milyard dollarlıq maliyyəsi ilə biznesə daxil olub. Setad bundan əvvəl də ABŞ sanksiyaları altında idi, lakin Prezident Trump daha da irəli getdi, Ayətulla ilə bağlı hamını - ehtimal ki, şirkət şuralarında oturanlar, yaxud onun çoxsaylı \"kölgə hökuməti\"ni hədəflədi. Belə ki, ABŞ administrasiyası artıq mövcud olan nəhəng neft və maliyyə sanksiyaları ilə təzyiqi daha da sərtləşdirir və Tehranın nəticə etibarilə təslim olmaq və danışıqları qəbul etməsini gözləyir. ABŞ tələb edir ki, İran öz nüvə proqramını və raket istehsalını cilovlasın və tərəfdaş ərəb qiyamçılarına dəstəyi dayandırsın. Dövlət katibi Mike Pompeo bəyan edib ki, \"maksimal təzyiq\" kampaniyası regional hərbi əməliyyatlarını dəstəkləmək üçün İranın gəlirlərini inkar edir. Bu cənab Pompeo kimi İran rejiminin ABŞ-ın tələb etdiyi kimi dəyişəcəyinə inanmayan şəxs üçün daha əhəmiyyətli məqsəd ola bilər\". Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51000241", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50998854", "doc1": "কাসেম সোলেমানির শবদেহ নিয়ে ইরাকের বিভিন্ন শহরে শোকের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ইরানী জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকান্ডের কয়েকদিনই পরই ইরাকি পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব ওঠে। কোনো কারণেই যেন বিদেশী সৈন্যরা ইরাকের আকাশ, স্থল এবং জলসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানানো হয় ঐ প্রস্তাবে। ওদিকে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনী 'অপারেশন ইনহেরেন্ট রিজলভ' ঘোষণা করেছে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং অন্যান্য দেশের সৈন্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে দিচ্ছে। ইরাকে বর্তমানে আমেরিকার প্রায় ৫,০০০ সৈন্য রয়েছে। কাগজে-কলমে তারা মূলত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছে। প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরুর আগে ইরাকের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী আদের আব্দুল মাহদি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন সৈন্যদের ইরাক ছেড়ে চলে যাওয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী মাহদি বলেন, \"যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সাথে সুস্থ এবং সঠিক সম্পর্কের খাতিরে\" ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির ইতি ঘটানো প্রয়োজন। মার্কিন ড্রোন হামলায় জেনারেল সোলেইমানির সাথে ইরাকের একজন শীর্ষস্থানীয় শিয়া মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহানদিসও নিহত হন যেটা ইরাকের শিয়াদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি করেছে। জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইরানের সাথে যুদ্ধ শুরুর হুমকি তৈরি হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে আরো কয়েক হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে কী রয়েছে -ইরাকের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ভোটে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার যে অনুরোধ আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন বাহিনীকে করা হয়েছিল তা যেন বাতিল করে দেয়া হয়। -বলা হয়েছে, \"সরকার যেন ইরাকে বিদেশী সৈন্যের উপস্থিতি এবং ইরাকের স্থল, আকাশসীমা এবং জলসীমা বিদেশী সৈন্যদের জন্য নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়।\" -এছাড়াও, প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে \"ইরাকি নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ\" করার জন্য সরকার যেন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ করে। তবে জানা গেছে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। আরও পড়ুন: আরেকটি যুদ্ধ হলে তেলের বাজারে কী হতে পারে? ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি ট্রাম্পের ইরানকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি বলছে কোয়ালিশন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনী 'অপারেশন ইনহেরেন্ট রিজলভ' ঘোষণা করেছে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং অন্যান্য দেশের সৈন্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে দিচ্ছে। কোয়ালিশন বলছে, গত দু মাস ধরে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী খাতাইব হেযবোল্লাহ তাদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীর নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিসও মার্কিন ড্রোন হামলায় জে. সোলেইমানির সাথে নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে কোয়ালিশন বলেছে, \"ইরাক সরকার এবং ইরাকি জনগণ আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইতে আমাদের স্বাগত জানিয়েছে, এবং আমরা তাদের সহায়ক হিসাবে থাকতে বদ্ধপরিকর।\" তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন সম্পদ এবং জনগণের ওপর যে কোনো রকম প্রতিহিংসা-মুলক হামলা হলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা শুরু করতে পারে। একইসাথে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক স্থাপনা বা মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে।", "doc2": "Qasım Süleymaninin cənazəsi şənbə günü İraqda matəm mərasimi şəhərdən şəhərə aparılıb. şəhərlərində Soleimani's coffin was carried through Iraqi cities on Saturday Bu, cümə günü İranın yüksək rütbəli generalı Qasım Süleymaninin Bağdad aeroportunda ABŞ tərəfindən öldürülməsindən sonra baş verir. İraq parlamenti, eləcə də xarici qüvvələrə İraq ərazisindən, hava məkanından və suyundan hər hansı bir səbəblə istifadə etməsini qadağan etməyə çağırıb. ABŞ-ın İraqda, əsasən məsləhətçi qismində, 5000-ə yaxın hərbi qulluqçusu var. Qasım Süleymaninin cənazəsi İrana aparılmazdan əvvəl minlərlə iraqlı onun dəfn mərasimində iştirak edib. Qanun qüvvəsinə malik olmayan qətnaməni parlament bazar günü İraqın müvəqqəti Baş naziri Adil Əbdul Mehdinin millət vəkilləri qarşısında çıxışından sonra qəbul edib. Öz çıxışında Adil Əbdul Mehdi İraqda xarici hərbi qüvvələrin mövcudluğuna son qoymağa çağırıb. İraq həm qonşu İran, həm də ABŞ-ın müttəfiqi olaraq çətin vəziyyətə düşüb. Sünni İŞİD-lə mübarizəyə kömək etmək üçün minlərlə ABŞ əsgəri ölkədə qalmaqdadır. Lakin İraq hökuməti Süleymaninin və onu müşayiət edən digər şəxslərin öldürülməsini ölkə suverenliyinin və İraqda koalisiya qüvvələrinin olması şərtlərinin pozulması kimi qiymətləndirir. İraqdakı müxtəlif şiə silahlı qrupları İran tərəfindən dəstəklənir. Süleymaninin qətlindən sonra İraq əhalisinin İrana rəğbət bəsləyən kəsiminin və silahlı qrupların qisas ala biləcəyi ilə bağlı narahatlıq mövcuddur. İraq parlamenti bazar günü iclas keçirərkən İranda yüz minlərlə insan Süleymaninin matəm mərasimlərinə qatılıb. Huge crowds poured into the city of Ahvaz in Iran to honour General Soleimani"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44868760", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44847559", "doc1": "একদিন আগে নাকচ করে দিলেও এখন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি বলছেন, সোমবারের বক্তব্যে তিনি ভুল বলেছিলেন। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া ওই নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে, সেটা মনে না করার কোন কারণ নেই। সর্বশেষ বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর তার পূর্ব বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। যদিও তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাবেন কিনা, সেই প্রশ্নের কোন জবাব দেননি মি. ট্রাম্প। তখন তিনি কি বলেছিলেন? ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর একজন সাংবাদিক জানতে চান, ''২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে কোন ধরণের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যদিও সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে, রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। আপনি কাকে বিশ্বাস করেন?'' তার উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ''আমার লোকজন আমার কাছে এসেছিল, তারা বলেছে, তারা মনে করে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন, এটা রাশিয়ার কাজ নয়। আমি বলবো, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না যে, তারা কেন এটা করবে।'' সোমবার হেলসিঙ্কিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি এখন কি বলছেন? মি. ট্রাম্প বলছেন তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন এবং একটি ব্যাখ্যা দেয়া দরকার বলে মনে করেন। ''আমার বক্তব্যে একটি প্রধান বাক্যে আমি বলেছিলাম, তারা (রাশিয়া) কেন এটা করবে? আসলে সেটা হওয়ার কথা, তারা কেন করবে না?'' ''বাক্যটা হওয়ার কথা এমন, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না, কেন এটা রাশিয়া হবে না?'' বলছেন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো যোগ করেন, ''আমাদের গোয়েন্দারা যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে, সেই সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করেছি। হয়তো আরো অনেকেই করেছে, করার মতো আরো অনেকেই রয়েছে।'' যদিও ওই হস্তক্ষেপে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়েনি বলেও বলছেন মি. ট্রাম্প। কেন এতো সমালোচনা? সোমবারের ওই সামিটের পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট, উভয় পক্ষই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, নিজের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে মি. ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক আইন প্রণেতা আরো আহত হয়েছেন এই কারণে যে, রাশিয়া এবং মি. পুতিনের বিষয়ে নির্দিষ্ট সমালোচনা করতে রাজি হননি মি. ট্রাম্প। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভুলের কথা বলছেন, কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। হোয়াইট হাউজ এখন যতই বিবৃতি দিক না কেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে দাড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি আটকে গিয়েছিলেন। কোন ব্যাখ্যাই সেটা আর পাল্টাতে পারবে না। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে এত ঝামেলা বেধেছে কেন? ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা 'মার্কিন নির্বাচনে হ্যাকিং-এর চেষ্টা করেছিলো রাশিয়া'", "doc2": "Rusiya prezidenti Vladimir Putinlə ilk xüsusi görüşündən sonra keçirdiyi birgə mətbuat konfransında, cənab Trump ABŞ kəşfiyyat orqanlarının bəyanatlarına zidd mövqe tutaraq Rusiyanın ABŞ seçkilərinə müdaxilə etmələrinə \"heç bir səbəb\" görmədiyini deyib. Öz növbəsində, Vladimir Putin də Rusiyanın heç vaxt ABŞ-ın daxili işlərinə müdaxilə etmədiyini təkrarlayıb. İki lider bazar ertəsi günü Finalndiyanın paytaxtı Helsinkidə iki saata yaxın qapalı qapılar arxasında görüş keçiriblər. Prezident Trump - daha çox öz kəşfiyyat orqanlarına, yoxsa prezident Putinə inandığı sualına - bilavasitə cavab vermək əvəzinə deyib: \"Adamlar yanıma gəldi, Dan Coates [Milli Kəşfiyyat direktoru] yanıma gəldi və digərləri, dedilər ki, onlar bunu Rusiyanın etdiyini düşünürlər. Prezident Putin bunu Rusiyanın etmədiyini deyir. Mən onların bunu niyə edəcəyinə bir səbəb görmürəm.\" ABŞ kəşfiyyatı elə hesab edir ki, Rusiya dövlət səviyyəsində qəbul edilmiş bir qərarla cənab Trump-ın xeyrinə ABŞ seçkilərinə təsir göstərib. İddia olunur ki, Rusiya bu təsiri sosial media və kiberhücumlar vasitəsilə edib. Cümə günü ABŞ Ədliyyə Nazirliyi 12 Rusiya vətəndaşını ABŞ prezident seçkisinə müdaxilədə ittiham etdikdən sonra, bəzi ABŞ siyasətçiləri Trump-la Putinin görüşünün ləğvinə çağırış ediblər. Bazar ertəsi günü keçirilən mətbuat konfransında, cənab Putin ABŞ seçkilərinə Rusiyanın iddia olunan müdaxiləsinə dair istintaqa rəhbərlik edən xüsusi prokuror Robert Mueller-i Rusiyaya dəvət edib. Əvəzində, o, Rusiyanın da ABŞ-da olan və cinayətdə şübhəli bilinənləri cəlb etməyə eyni dərəcədə imkanlar istədiyini də qeyd edib. Cənab Trump prezident Putinin ABŞ seçkilərinə müdaxilə iddialarını \"çox güclü şəkildə təkzib\" etdiyini deyib. Finlandiyada etirazçılar cənab Trump-ı görüşlərdə insan haqları mövzusuna toxunmağa çağırıblar Mətbuat Konfransında nə baş verib? Görüşdən sonra keçirilən mətbuat konfransında, prezident Putin prezident Trump-la söhbətində nüvə silahlarının yayılması məsələsinə toxunduğunu bildirir. O, nüvə silahlarının yayılmasının və kosmosda yerləşdirilməsinin qarşısını almaq üçün iki ölkənin əməkdaşlıq etmələrinin mühüm olduğunu deyib. Cənab Putin həmçinin Donald Trump-ı Şimali Koreya lideri Kim Jong-Un-la danışıqlara cəlb etməsindəki \"xüsusi diqqətinə\" görə alqışlayıb. O, cənab Trump-la hər bir məsələdə razılaşmadığını deyib və Rusiyanın 2016-cı il ABŞ prezident seçkisinə müdaxiləsinə dair iddiaları rədd edib. Prezident Putin deyib ki, \"Rusiya dövləti\" xarici seçkilərə \"heç vaxt müdaxilə etməyib və etməyəcək də\". O, prezident Trump-ın bu məsələni qaldırdığını əlavə edib. Vladimir Putin cənab Trump-la söhbətində hər bir mövzuya toxunulmadığına baxmayaraq \"ilk ətraflı görüşdən\" razı qaldığını qeyd edib. Öz növbəsində, prezident Trump danışıqları \"bilavasitə, açıq və dərindən məhsuldar dialoq\" kimi təsvir edib. O, Rusiya ilə narazılıqları cənab Putinlə ətraflı müzakirə etdiyini, lakin həmçinin \"radikal İslam terrorçuluğunun təhlükəsi\" barədə də danışdığını və bu barədə cənab Putinlə birgə əməkdaşlıq etməyə razı olduqlarını vurğulayıb. Donald Trump onun bu görüşü keçirməsinə dair tənqidlərə qarşı bunu deyib: \"Hətta Soyuq Müharibənin təyziqli vaxtları... ABŞ-la Rusiya güclü dialoqu təmin edə bilmişdilər. Lakin bizim əlaqələrimiz heç vaxt hazırki qədər pis olmayıb. Amma bu dörd saat əvvəl dəyişdi.\" O, deyib ki, \"ünsiyyəti rədd etməkdən asan bir şey yoxdur\" və iddia edib ki, bu \"tənqidçiləri, medianı və müxalifəti\" razı salsa da, o bu riski atmağa hazırdır. \"Prezident olaraq mən həmişə amerikalıların və Amerikanın xeyrinə olanı hər şeydən üstün tutacam\", o əlavə edib. Cənab Trump Rusiyanın ABŞ prezident seçkisinə iddia olunan müdaxiləsi məsələsini söhbətdə qaldırdığını təsdiqləyib. Lakin, o, həmçinin istintaqın \"bizi bir-birimizdən uzaq saxladığını\" deyərək, ABŞ-ı \"ağılsız\" olmaqda ittiham edib. \"Məncə Birləşmiş Ştatlar ağılsız olub, biz hamımız ağılsız olmuşuq. Bu istintaq ölkəmiz üçün faciədir, bu bizi bir-birimizdən uzaq saxlayıb. Heç bir əməkdaşlıq olmayıb\", o, əlavə edib. İki liderin görüşünə yalnız tərcüməçiləri şahid olub Cənab Putin bir daha ABŞ-da xüsusi prokuror Robert Mueller-in rəhbərlik etdiyi istintaqa toxunaraq, deyib ki, \"bu cəfəngiyyatdır\". O, 1999-cu ildə Rusiya və ABŞ arasında ekstradisiya razılığını xatırladaraq, bildirib ki, \"O, [Robert Mueller] bu razılıqdan istifadə edərək bizə rəsmən müraciət edə bilər və biz onun cinayətlə əlaqələri olduqlarını düşündüyü bu şəxsləri dindirə bilərik. Bizim hüquq mühafizə orqanlarımız bunu edə bilər\". Prezident Trump - daha çox öz kəşfiyyat orqanlarına, yoxsa prezident Putinə inandığı sualına - bilavasitə cavab vermək əvəzinə deyib: \"Adamlar yanıma gəldi, Dan Coates [Milli Kəşfiyyat direktoru] yanıma gəldi və digərləri, dedilər ki, onlar bunu Rusiyanın etdiyini düşünürlər. Prezident Putin bunu Rusiyanın etmədiyini deyir. Mən onların bunu niyə edəcəyinə bir səbəb görmürəm.\" ABŞ-dan tənqidlər Cənab Trump-ın bu sözləri ABŞ-da kəskin şəkildə tənqid olunub. Mərkəzi Kəşfiyyat İdarəsinin keçmiş direktoru, John Brennan, Twitter-də yazıb ki, \"Donald Trump-ın Helsinkidə mətbuat konfransındaki çıxışı \"ağır cinayətlər və yaramazlığın\" səddinə çatıb və onu aşıb. Bu xəyanətdən başqa bir şey deyil. Trump-ın sözləri nəinki kəmağıldır, o, tamamilə Putinin cibindədir. Respublikaçı vətənpərvərlər haradasınız???\" Demokratların lideri Nancy Pelosi isə tvitində deyib ki, \"Bir neçə gün əvvəl, 12 rusiyalı bizim demokratiyamıza qarşı hücum etdiklərinə görə rəsmən ittiham olunublar. \"Bu gün isə Amerikanın üzdəniraq lideri utanverici bir şəkildə bu hücumun arxasında duran adama qarşı möhkəm dura bilməyib. Həqiqətəndə, Putinin Trump üzərində nəyi var ki, Trump ondan bu qədər qorxur?\" Cənab Trump-ın öz partiyasından Arizona ştatı senatoru Jeff Lake isə Twitter-də deyib: \"Mən heç vaxt düşünmürdüm ki, o günü görəcəm ki, Amerika prezidenti Rusiya prezidenti ilə səhnə paylaşsın və Rusyia aqqresiyasına görə Birləşmiş Ştatları təqsirləndirsin. Bu utancvericidir.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50980495", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-51044686", "doc1": "কাসেম সোলেইমানি হত্যার 'চরম প্রতিশোধ' নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানে এরই মধ্যে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেছেন হামলার নেপথ্যে থাকা 'অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ' নেয়া হবে। ইরানের পররাষ্টমন্ত্রী জাভেদ যারিফ বলেছেন এটি 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ।' ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পোরেশনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামেজান শরীফ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কুদস ফোর্সের কমান্ডারকে হত্যার 'কঠোর প্রতিক্রিয়া' ভোগ করবে। জেনারেলের মৃত্যুর বিষয়টই ইরানের মিডিয়াতেও গুরুত্বের সাথে জায়গা পেয়েছে। সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধে তার অবদানের জন্য প্রশংসা করা হয় তার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইরানের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হামলা ক্ষুব্ধ জনতার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে অবরোধের হুমকি জেনারেল সোলেইমানির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে ইরানের অনেকগুলো টিভি চ্যানেল তাদের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে কালো ব্যান্ডের চিত্র প্রদর্শন করছে। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে পার্সিয়ান ভাষায় লেখা 'হ্যাশট্যাগ হার্শ ভেঞ্জেন্স' বা নির্মম প্রতিশোধ। রেভোলিউশনারি গার্ডসের সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়েই বলেছেন, \"ইরান অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেবে।\" ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পরেই সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মনে করা হতো কাসেম সোলেইমানিকে টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেইয়েদ মোহাম্মদ মারান্দি বলেন যে প্রতিশোধের সময় আসন্ন এবং সকল পশ্চিমা নাগরিককে - বিশেষ করে অ্যামেরিকানদের - অতিস্বত্তর মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার তাগিদ দেন তিনি। ইরানের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের আয়োজনে 'যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ' করার উদ্দেশ্যে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার নামাজের পর সারা দেশে 'অ্যামেরিকা বিরোধী' ও 'ইহুদিবাদ বিরোধী' মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আইআরআইএনএন জানায়। রাশিয়া, চীনের সমালোচনা জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যায় মার্কিন সেনা অভিযানের সমালোচনা করেছে বিশ্বের পরাশক্তিরাও। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে তারা 'সোলেইমানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মার্কিন অভিযানকে অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ' হিসেবে মনে করে। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে পার্সিয়ান ভাষায় লেখা 'হ্যাশট্যাগ হার্শ ভেঞ্জেন্স' বা নির্মম প্রতিশোধ। বিবৃতিতে বলা হয়: \"সোলেইমানি ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বস্তভাবে সেবা করে গেছেন। ইরানের মানুষের কাছে আন্তরিকভাবে দু:খপ্রকাশ করছি আমরা।\" চীন এই রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি শান্ত করতে সব পক্ষকে 'বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে' সংযম ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, \"আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবসময়ই জোর প্রয়োগের বিরোধী চীন।\" \"এই ঘটনার সাথে জড়িত পক্ষদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে, শান্ত থাকতে ও সংযম অনুশীলন করতে অনুরোধ করবো আমরা, যাতে অস্থিরতা বৃদ্ধি না পায়।\" সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার সমালোচনা করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন যে তিনি 'খড়কুটোর বাক্সে ডায়নামাইট ছুঁড়ে ফেলেছেন'। তিনি লিখেছেন, \"মধ্যপ্রাচ্য বড় ধরণের একটি সংঘাতের মুখোমুখি পড়তে পারি আমরা।\" মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই পদক্ষেপ নেয়ার ফলে ঐ অঞ্চলে থাকা অ্যামেরিকানরা হুমকির মুখে পরবেন। ওদিকে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস তাদের সকল নাগরিকদের 'অতিস্বত্বর' ইরাক ছাড়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে টুইটারে পোস্ট করেছে।", "doc2": "Raketlər İranın hərbi sursatının əhəmiyyətli hissəsini təşkil edir Bəs, İran ordusu nə qədər güclüdür? İran ordusu nə qədər böyükdür? Britaniyanın Beynəlxalq Strateji Araşdırmalar İnstitutunun hesablamalarına görə, İran ordusunun təxminən 523 min aktiv personalı var. Onlardan 350 min nəfəri ordunun əsas hissəsində, 150 mini İnqilab Keşikçiləri Korpusunda, 20 mini isə Korpusun dəniz donanmasında xidmət edir. Sonuncusunun Hörmüz boğazında növbə çəkdiyi və 2019-cu ildəki tankerqaçırma hadisələrində iştirak etdiyi barədə ehtimallar var. İnqilab Keşikçiləri Bəsiç silahlı qruplaşmalarına da nəzarət edir. Könüllülərdən ibarət olan bu birləşmələr ölkə daxilindəki üsyanları yatırmaqla məşğuldur. Bəsiç döyüşçüləri yüzminlərlə silahlını təşkilatlandırmaq gücünə sahibdirlər. İnqilab Keşikçilərinin aviasiyası da var. Keşikçilər İranın strateji silahlarını da mühafizə edirlər İnqilab Keşikçiləri Korpusu 40 il bundan əvvəl, islam inqilabının nəticələrini qorumaq üçün yaradılıb və o vaxtdan etibarən hərbi, siyasi və iqtisadi güc halına gəlib. Əsas ordudakı qədər əsgəri olmasa da, Korpus İranın ən əhəmiyyətli hərbi quruluşu hesab edilir. Xaricdə əməliyyat keçirmək gücü varmı? İnqilab Keşikçiləri Korpusunun \"Əl-Qüds\" bölümü ölkə xaricində əməliyyatlar həyata keçirir. 5 min hərbçidən ibarət olan bu bölüm birbaşa İranın ali dini lideri Ayətullah Xameneyiə tabedir. \"Əl-Qüds\"-ün üzvləri Suriyaya da göndərilmişdilər - bu ölkənin hərbçilərinə və prezident Bəşər Əsəd tərəfdarı olan döyüşçülərə məsləhət vermək üçün. İraqda isə onlar İŞİD-ə qarşı mübarizə aparan və şiələrin nəzarəti altında olan bir qrupa dəstək veriblər. ABŞ-ın iddiasına görə, \"Əl-Qüds\" Yaxın Şərqdə onun terrorist elan etdiyi birləşmələrə yardım edir. Bunların arasında Livandakı \"Hizbullah\" və Fələstindəki \"İslami-Cihad\" qrupları da var. İnqilab Keşikçiləri 2019-cu ildə Britaniyaya məxsus neft tankerini ələ keçirmişdi İqtisadi problemlər və sanksiyalar İranın silah idaxılına təsir edib. Bölgədəki digər ölkələrlə müqayisədə İran çox az neft idxal edə bilir, məsələn, Səudiyyə Ərəbistanının idxal etdiyinin 3,5 faizi qədər. Nefti İran əsasən Rusiya və Çindən alır. İranın raketləri varmı? Var. İranın raketləri hərbi sursatının əhəmiyyətli hissəsini təşkil edir. Səudiyyə Ərəbistanı və İsrail kimi rəqibləriylə aviasiya baxımından yarışa bilməməsi İran üçün raketlərin əhəmiyyətini artırır. ABŞ-ın Müdafiə Nazirliyinin hazırladığı bir hesabata görə, Yaxın Şərqdə ən çox raketi olan ölkədir, çoxu qısa və orta mənzillidir. Hesabatda qeyd edilir ki, İran qitələrarası ballistik raketlər də istehsal etməyə çalışır. 2015-ci ildə əldə edilmiş nüvə razılaşmasından sonra İran bu fəaliyyətinə ara vermişdi. Ancaq ABŞ-ın müqavilədən geri çəkilməsi sözügedən prosesi yenidən başlatmış ola bilər. Səudiyyə Ərəbistanı və Körfəz ölkələri İranın qısa və orta mənzilli raketlərinin hədəfindədir. Böyük ehtimal, İsrailin bəzi əraziləri də. Keçən il İranla münasibətləri gərginləşəndən sonra ABŞ Yaxın Şərqə \"Patriot\" raketdənqorunma sistemi göndərmişdi. İranda qeyri-ənənəvi silahlar varmı? İllərdir davam edən sanksiyalara baxmayaraq İran pilotsuz uçuş aparatları (PUA) istehsal edə bilib. 2016-cı ildə onlardan İraqda - İŞİD-ə qarşı mübarizədə istifadə edib. O vaxt Suriyadan idarə edilən bu PUA-ların İsrailin hava sahəsinə girdiyi bildirilmişdi. 2019-cu ilin iyul ayında İran ABŞ-ın müçahidəçi PUA-sını vurmuşdu. ABŞ İranın Yəməndəki husilərə PUA verdiyi bildirir BBC-nin müdafiə və diplomatiya üzrə müxbiri Jonathan Marcus-un fikrinə görə, İran öz PUA-larını bölgədəki müttəfiqlərinə satmaqda maraqlıdır. 2019-cu ildə Səudiyyə Ərəbistanının iki vacib neft hasilatı təsisinə PUA-lar və raketlər vasitəsilə hücum edilib. Həm ABŞ, həm də Səudiyyə Ərəbistanı bunda İranı günahlandırsalar da, rəsmi Tehran ittihamları rədd edib. İranın internetdəki gücü nə səviyyədədir? 2010-cu ildə İranın nüvə təsislərinə genişmiqyaslı kiber-hücum olandan sonra, bu ölkə kiber səviyyəsini yüksəltmək qərarına gəlib. Təxminlərə görə, İnqilab Keşikçilərinin tərkibində bir kiber-komanda var və bu komanda hərbi və ticari sirləri oğurlamağa çalışır. ABŞ-ın 2019-cu ildə açıqladığı hərbi hesabata görə, İran aviasiya, müdafiə, enerji və təbii mənbələr üzrə fəaliyyət göstərən şirkətləri hədəfə alır. 2019-cu ildə \"Microsof\" şirkəti İran mənşəli və İran hökumətiylə bağlı bir haker qrupunun ABŞ-dakı prezident seçkilərini hədəf aldığını və ABŞ-ın hökumət nümayəndələrinin hesablarını ələ keçirməyə çalışdığını açıqlamışdı."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50799676", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-50809129", "doc1": "সিলেটের ঘরোয়া বাগানের ক্ষেত্রে কাজ করছেন একজন নারী ঠিক এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের একটি এলাকার বাসিন্দাদের, যখন তাদের খাবার ও আয় রোজগারের প্রধান ফসল ধান মৌসুমি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে আগাম অতিবৃষ্টির কারণে তাদের ক্ষেতের সব ধান নষ্ট হয়ে যায়। অথচ ওই বছর বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল আরো দুই মাস পরে। কৃষকদের বেশিরভাগ ফসলই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। যার অর্থ হলো - বছরের বাকি সময়ের জন্য তাদের আর কোন আয় ছিল না, পরিবারের জন্য যথেষ্ট খাবারও ছিল না। বিজ্ঞানীরা বরাবরই সতর্ক করে দিয়ে আসছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের ফসলের চাষাবাদের ওপর এবং খাবারে থাকা পুষ্টিগুণের ওপরেও প্রভাব পড়ছে। বার্লিনের চারিটি-ইউনিভার্সিটি মেডিসিনের জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক এবং পটসড্যাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সাবিনে গাব্রিয়চ বলছেন, ''জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসব মানুষের আসলে কোন ভূমিকাই নেই, কিন্তু তবু তারা এর শিকার হচ্ছে।'' আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: জাতিসংঘের 'রেড-অ্যালার্ট' সাগর-মহাসাগরে কমে যাচ্ছে অক্সিজেন লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের উত্তর মেরুতে বরফ গলে জাহাজ চলাচলের পথ খুলছে? নোবেল ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বাস্থ্য ও জলবায়ু বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার সময় বিবিসিকে তিনি বলেন, ''তারা ভিন্নভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছে, কারণ তারা তাদের জীবিকার উপায় এবং খাদ্য-পুষ্টির উৎস হারিয়ে ফেলছে।\" \"তাদের সন্তানরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে, কারণ তারা দ্রুত বড় হচ্ছে বলেই তাদের পুষ্টিরও বেশি দরকার।'' এমনকি এক-তৃতীয়াংশ নারীর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে দেখা গেছে, আর ৪০ শতাংশ শিশুই মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার। ''অনেক মানুষ আসলে এর মধ্যেই কোনমতে টিকে রয়েছে, তারা অনেক ধরণের রোগে ভুগছে,'' বলছেন অধ্যাপক গাব্রিয়চ। ''তাদের কোন বীমাও নেই।'' বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে বন্যার প্রভাব নিয়ে তিনি একটি গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ২ হাজারের বেশি নারীর সঙ্গে তিনি কাজ করছেন। এই নারীদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন যে, বন্যার কারণে তাদের পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়। সেই ক্ষতি কাটাতে বেশিরভাগ পরিবার যা করেছে, তা হলো অন্যের কাছ থেকে টাকাপয়সা ধার করা। বিশেষ করে সেই সব ব্যক্তির কাছ থেকে - যারা চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে টাকা এনে পরিবারটি ঋণের জালে আটকে পড়ে। গবেষণায় অংশ নেয়া সিলেটের নারীদের অর্ধেকের বেশি বলেছেন যে, বন্যার কারণে তাদের পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই গবেষক দলটি এসব মানুষকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনার উঁচু জমিতে বাগান করতে শিখিয়েছে। এসব জায়গায় তারা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফলমূল এবং সবজি চাষ করতে এবং মুরগি পালন করতে পারছে। অধ্যাপক গাব্রিয়চ বলছেন, ''আমি মনে করি না এর ফলে তাদের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষতি পূরণ হচ্ছে - কারণ ওটা হচ্ছে তাদের জীবিকার প্রধান ফসল। কিন্তু এটা তাদেরকে অন্তত কিছুটা সহায়তা করতে পারছে।'' উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ধানের মতো যেসব খাবারের ওপর বাসিন্দারা নির্ভর করেন, সেখানে যখন এসব ফসলের ভালো ফলন হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব খাদ্যে ততটা পুষ্টি থাকে না। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গ্লোবাল হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্ট্রি ইবি পুষ্টিমান নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, চাল, গম, আলু আর সাবুর মতো খাবারে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মানে হলো, এগুলো জন্মাতে কম পানি লাগে। এটা শুনতে ইতিবাচক শোনালেও ব্যাপারটা তা নয়। কারণ এসব ফসল মাটি থেকে কম পুষ্টি টেনে নিচ্ছে। রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়া অধ্যাপক ইবির গবেষণা দল দেখতে পেয়েছে যে, তারা যেসব ধান নিয়ে গবেষণা করেছেন, সেখানে গতে ৩০ শতাংশ হারে ভিটামিন বি কমে গেছে। এতে গর্ভবতী নারীদের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে যাচ্ছে। তিনি বলছেন, ''বর্তমানে বাংলাদেশ যখন সম্পদশালী হয়ে উঠছে, এখনো দেশটির প্রতি চারজনের তিনজনের দরকারি ক্যালরি আসে চাল থেকে।'' ''কিন্তু অন্য অনেক দেশের বাসিন্দারা তাদের প্রধান খাবার হিসাবে চাল ছাড়াও অন্যান্য অনেক ধরণের খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং চালে পুষ্টি কম থাকলেও তা তাদের ক্ষেত্রে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলে।'' তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মানে হলো রোগব্যাধির প্রকোপও বেড়ে যাওয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কেন গাজার খ্রিস্টানদের বেথলেহেম আসা নিষিদ্ধ হলো? প্রায় ১১ হাজার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ শীতের যেসব রোগ থেকে সাবধান থাকা জরুরি রাশিয়ায় ক্ষমতার ২০ বছর যেভাবে কেটেছে পুতিনের ''মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে। এর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও সংক্রমণ রোগের প্রকোপও বাড়ছে।'' ''আমাদের পৃথিবী যত বেশি উষ্ণ হয়ে উঠছে, ততই রোগব্যাধি বিস্তারের এলাকা বাড়ছে, দীর্ঘসময় ধরে এসব রোগ থাকছে। এসব রোগের বিস্তার অনেক বেশি হচ্ছে।'' ''আর অনেক ক্ষেত্রেই এসব রোগের প্রাথমিক শিকার হচ্ছে শিশুরা। এ কারণেই আমরা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন কারণ তারা ঝুঁকির দিক থেকে সামনের কাতারে রয়েছে। তাদের ওপরেই এসব পরিবর্তনের প্রভাব বেশি পড়ছে।'' যেসব রোগব্যাধি সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় দেখা যেত, এখন সেসব রোগ উত্তরের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছর প্রথমবারের মতো জার্মানিতে ওয়েস্ট নিল ভাইরাসের রোগীর দেখা পাওয়া গেছে, যা একটি মশাবাহিত রোগ। সাবিনে গাব্রিয়চ বলছেন, ''এসব সংক্রমণ রোগের বিস্তারের ফলে মানুষ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের ওপরেও আসতে শুরু করেছে।'' নোবেল বিজয়ী পিটার অ্যাগর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এমন সব এলাকায় এমন রোগ দেখা যাচ্ছে যা আগে দেখা যায় নি এবং নতুন নতুন এলাকায় রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় দেখা যাওয়া কিছু রোগ উঁচু এলাকার দিকেও এখন দেখা যেতে শুরু করেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার মানুষজন সাধারণত রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে উঁচু এলাকায় বসবাস করেন। ২০০৩ সালে রসায়নে নোবেল পাওয়া অধ্যাপক অ্যাগর বলছেন, ''উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, ফলে কারোই আর আরামে বসে থাকার সুযোগ নেই।'' ''একটা জনপ্রিয় প্রবাদ ছিল যে, 'এখানে এটা ঘটবে না'। কিন্তু এখন, সেটা ঘটতে পারে।'' নোবেল মিডিয়া এবি এবং বিবিসির যৌথ উদ্যোগে এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।", "doc2": "Banqladeşin şimal-şərqində yaşanan təcrübə buna dəlalət edir. Silhet əyalətində erkən yağışlar, yeganə qida mənbəsi olan düyü məhsulunun tam məhvinə səbəb oldu. Buradakı tarlaları yox edən mövsümi yağışlar 2017-ci ilin aprel ayında, gözlənildiyindən iki ay əvvəl başladı. Məhsulun çoxunu itirən fermerlərin ailələri üçün bu, gəlir və ərzaq çatışmazlığı demək idi. Alimlərin xəbərdarlığına əsasən, iqlim dəyişməsi insanların yetişdirdiyi məhsul və ərzaq mənbələrinə təsir etməkdədir. Almaniyanın Heidelberg Universitetinin iqlim dəyişməsi və səhiyyə məsələləri üzrə professoru Sabine Gabrysch hesab edir ki, bu, \"olduqca ədalətsizdir, çünki həmin insanların iqlim dəyişməsinə heç bir töhfəsi olmayıb\". Sağlamlıq və iqlim dəyişməsi ilə bağlı Nobel Fondunun Berlində keçirdiyi konfransına qatılan professor bunları deyib: \"Onlar iqlim dəyişməsinin bilavasitə təsirinə məruz qalır, çünki nəticədə dolanma və ərzaq mənbələrini itirirlər\". \"Ən çox əziyyət çəkən də onların uşaqlarıdır, çünki onlar tez böyüyür və onların daha çox qidaya ehtiyacı var,\" - BBC-yə danışan Sabine Gabrysch bildirib. Onun sözlərinə görə, erkən yağıntılardan əvvəl də, qadınların üçdə birisinin çəkisi normaldan aşağı olub, uşaqların 40 faizi isə, daima az qidalanmadan əziyyət çəkib. \"İnsanlar artıq bir sıra xəstəliklərdən əziyyət çəkir, onlar artıq yox olmaq astanasına çatıb və geri çəkilməyə yerləri yoxdur, - deyə, almaniyalı professor əlavə edir. - Onların sığortaları yoxdur\". Silhet əyalətində daşqınların təsiri ilə bağlı tədqiqata rəhbərlik edən professor, 2000-dən çox kəndli qadınla işləyir. Onların yarısı deyir ki, ailələri daşqınlardan əhəmiyyətli dərəcədə zərər çəkib. Yerli sakinlər çətinliklərin öhdəsindən gəlmək üçün, adətən yüksək faizlə kredit almağa çalışır və nəticədə borclara düşür. Yerliləri maarifləndirən alimlər yüksəklikdə yerləşən sahələrdə bitki əkməyin, toyuq saxlamağın, məhsul almağın yeni yollarını öyrətməyə başlayıblar. Onlar, bəsləyici maddələrlə daha zəngin meyvə-tərəvəz növləri barədə məlumat veriblər. \"Düşünmürəm ki, bu, məhsulun itkisini kompensasiya etsin, çünki düyü onların əsas qida mənbəsidir, lakin müəyyən dərəcədə kömək edə bilər,\" - Sabine Gabrysch deyir. İnkişaf etməkdə olan ölkələrdə düyü ilə yanaşı, digər nişasta tərkibli bitkilər yaxşı yetişsə də, iqlim dəyişikliyi onların bəsləyici keyfiyyətinə mənfi təsir göstərməkdədir. Washington Universitetinin Qlobal səhiyyə bölməsindən professor Kristie Ebi, qida növləri tərkibində bəsləyici maddələrin səviyyəsinə nəzər salıb. O düyü, buğda, kartof və arpa kimi məhsullarda karbon dioksidin daha yüksək konsentrasiyasına rast gəlib. Bu o deməkdir ki, onları yetişdirmək üçün nisbətən az su tələb olunur. Bu, yaxşı hal sayıla bilməz, çünki mikrobəsləyici elementlər bitkiyə məhz su vasitəsilə çatdırılır. Xəstəliklər hərəkətdədir Professor Ebi-nin mənsub olduğu tədqiqatçılar qrupu düyünün tərkibinə nəzər salıb. Araşdırma, \"B\" vitaminlərinin normadan 30 faiz aşağı olduğunu üzə çıxarıb. \"B\" vitaminləri qrupuna hamilə qadınlar üçün vacib olan fol turşusu da daxildir. \"Zəngilləşməkdə olan Banqladeşdə dörd kaloridən üçü düyü hesabına qarşılanır\", - professor Ebi deyir. \"Bir sıra ölkədə insanlar, əsasən, nişasta ilə zəngin ərzaqla qidalanır. Buna görə, mikrobəsləyici maddələrin azalmasının çox ciddi nəticələri ola bilər\". O həmçinin qlobal istiləşməyə görə, xəstəliklərin yayılması ilə bağlı xəbərdarlıq verir. \"Əsas risklər ağcaqanadlar vasitəsilə ötürülən xəstəliklərlə bağlıdır. Həmçinin, ishal və yoluxucu xəstəliklərin riski də böyükdür\". \"Planetimiz istiləşdikcə, bu xəstəliklər öz coğrafi hüdudlarını dəyişir, onların mövsümləri uzanır. Bu xəstəliklərə yoluxma halları artır\". \"Və bunların çoxu ilk növbədə uşaqlara təsir edir. Bunun ana və uşaq sağlamlığı üçün nə demək olduğuna görə çox narahatıq, çünki onlar ön xəttdədir. Təsiri hiss edən də, elə onlardır.\" Ənənəvi olaraq, tropik sayılan xəstəliklər şimala doğru irəliləyir. Bu il Almaniyada Qərbi Nil virusuna ilk yoluxma halı qeydə alınıb. Bu, xəstəlik ağcaqanadlar vasitəsilə ötürülür. Yoluxucu xəstəliklər elə bir şeydir ki, iqlim dəyişməsinin insanlara gəlib çatması barədə düşündürür, professor Sabine Gabrysch deyir. Nobel mükafatı laureatı Peter Agre-yə əsasən, iqlim dəyişməsi, xəstəliklərin hərəkətə gəlməsi deməkdir və onlardan bəziləri istiləşmə ilə yanaşı, daha yüksək bölgələrə doğru istiqamət alır. Belə hallara Cənubi Amerika və Afrikada rast gəlinib. Bu, böyük əhəmiyyətə malikdir, çünki tropiklərin sakinləri, xəstəliklərdən yayınmaq məqsədilə, ənənəvi olaraq, daha yüksək bölgələrdə məskunlaşıblar. 2003-cü ildə kimya üzrə Nobel mükafatına layiq görülən professor Agre, arxayınlığa yer qalmadığını deyir. O, əmindir ki, havanın mülayimləşməsi xəstəlikləri də hərəkətə gətirəcək. \"Belə deyirlər ki, xəstəliklər bu yerlərə gəlib çıxmaz. Artıq bu belə deyil.\" Material Nobel Media AB və BBC əməkdaşlığı nəticəsində hazırlanıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49385498", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40103884", "doc1": "আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। শহরের পশ্চিমে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তালেবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং অন্য আর কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। যদিও কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ও তালেবানসহ সুন্নি মুসলিম জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয় যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে। বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে যখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে। \"সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়,\"তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। \"প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিলো ধোয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হয় নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দু ঘণ্টা পরেও সেখান থেকে মৃতদেহ নেয়া হচ্ছে\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? কাশ্মীর: হাসপাতালের রোগীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ইসরায়েল ইস্যুতে বিতর্কে পড়া দুই নারী কংগ্রেস সদস্য কারা? যে ছয়টি কারণে আপনার বেতন বাড়তে পারে হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের কান্না বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। \"আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার নিহত বা আহত হয়েছে\"। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার 'তীব্র নিন্দা' জানিয়েছে। মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, \"নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরণের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর আগে কী হয়েছিলো ? সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশদিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিলো। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো তালিবান। শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন যদিও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছে বলে বলা হচ্ছে। কাতারের দোহায় দু পক্ষের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।", "doc2": "Kabulda güclü partlayış: onlarla insan həlak olub Polisin məlumatlarına əsasən, hadisə şəhərin mərkəzi hissəsində xarici səfirliklərin və prezident sarayının yaxınlığında baş verib. \"Partlayıcı qurğu ilə yüklənmiş avtomobil Almaniya səfirliyinin yaxınlığında olub, amma hücumun hədəfinin hansı müəssisəsisə olduğunu demək çətindir\", polisin sözçüsü Bəşir Mücahid Reuters agentliyinə deyib. Partlayış elə güclü olub ki, bir neçə yüz metr məsafədə olan evlər zərər görüb. Sosial şəbəkələrdə paylaşılan fotolarda şəhər üzərində böyük tüstü buludu görünür. Şəhərin mərkəzi meydanı polis tərəfindən mühasirəyə alınıb, BBC müxbiri xəbər verir. Hadisəyə görə məsuliyyəti hələlik heç bir təşkilat üzərinə götürməyib, amma son zamanlarda buradakı hücumları ya Taliban, ya da özünü İslam Dövləti (İD) adlandıran qruplaşma edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44740746", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45032292", "doc1": "চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র যা আমদানি করে - রপ্তানি করে তার চেয়ে অনেক কম কিন্তু সাধারণ মানুষ কিভাবে এই যুদ্ধের ব্যাপারটা টের পাবে? তাদের পকেটে এর জন্য কি কোন টান পড়বে? চীনা পণ্যের ওপর যে ৩ হাজার ৪শ' কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র - তা গত রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। আর চীনও তার জবাবে ৫৪৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর একই রকম ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে - যার পরিমাণ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪শ কোটি ডলারই হবে। চীন বলছে, বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধের শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে জিনস, মোবাইল ফোন, ছাতা, এমনকি যৌন খেলনার দামও শিগগীরই বেড়ে যাবে। কারণ এসব পণ্য তৈরি হয় চীনে। শুধু পশ্চিমা দেশ নয়, সারা দুনিয়ার নানা দেশের ওপরই এর প্রভাব পড়বে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মেড ইন চায়না ২০২৫': কেন এত দুশ্চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কারণ সব দেশই আমদানি করা পণ্য ব্যবহার করে। যেমন আপনার হাতের আইফোনটি। এটি ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে । কিন্তু এটা তৈরি হয়েছে চীনে। শুধু তাই নয়, এর যে নানান যন্ত্রাংশ - সেগুলো আবার তৈরি হয়েছে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অন্য কোন তৃতীয় দেশে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র এর ওপর কর বসালে এর উৎপাদনের সাথে জড়িত সব দেশের কর্মসংস্থানের ওপরই তার প্রভাব পড়ে। তার পর আছে ওভারহেড খরচ। তাই তার প্রভাবে সারা দুনিয়ার ভোক্তাদের জন্য জন্যই আইফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন আমেরিকার শিল্প এবং এবং কর্মংসংস্থানকে চাঙ্গা করতে, চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনে যত পণ্য বিক্রি করে তার চাইতে বেশি আমদানি করে। আর চীন চায় প্রযুক্তিতে বিশ্বে নতুন নেতা হয়ে উঠতে। তারা মেড ইন চায়না নামে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটা পরিকল্পনাও নিয়েছে। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের মতো দেশ কিন্তু এই বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে কি কেউ লাভবান হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে আরো সস্তায় পণ্য রপ্তানি করতে পারে - তারা হয়তো লাভবান হবে। এরকম দেশগুলোর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ, তার তুলা শিল্প। আরো আছে মেক্সিকোর খেলনা উৎপাদনকারীরা। এছাড়া ভিয়েতনাম - যারা পোশাক সেলাই করে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়ে যায় - তাই শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষরাই , যারা পণ্য কেনে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গুহায় অক্সিজেন দিতে গিয়ে মারা গেলেন যে ডুবুরি পাঁচটি কলাগাছকে কেন বাঁচাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা? 'রাস্তায় বের হতে পারবি না, পরিবারকে গুম করে দিবে'", "doc2": "İyulun əvvəlində ABŞ Çinin 34 milyard dollar dəyərindəki məhsullarına əlavə gömrük vergisi tətbiq edəcəyini elan etdi. Çin bu addıma analoji tərzdə cavab verəcəyini bildirdi. Avqust ayında ABŞ tərəfindən 16 milyard dollar dəyərində yeni gömrük vergisi tətbiq ediləcəyi gözlənilir. Digər tərəfdən, ABŞ ticarət müharibəsinə başlamağa hazır olduğu Avropa İttaifaqı ilə (Aİ) razılığa gələ bilib. Bloomberg öz qaynaqlarına istinadən xəbər verib ki, ticarət müharibəsinin təsirini yumşaltmaq üçün ABŞ və Çin arasında təkrar müzakirələr aparılacaq. ABŞ Maliyyə naziri Steven Mnuchin və Çinin Baş nazir köməkçisi Liu He arasında görüşə hazırlığın aparıldığı iddia edilir. 3,1 faiz artım gözlənir İyun hesabatında Dünya Bankı 2018-ci ildə qlobal iqtisadiyyatın 3,1 faiz artacağını proqnozlaşdırıb. Qarşıdakı 2 il ərzində isə inkişaf etmiş və inkişafda olan ölkələrin iqtisadiyyatlarının artım sürəti zəifləcəyindən, qlobal iqtisadiyyatın da artım sürətinin azalması proqnozlaşdırılır. ABŞ iqtisadiyyatı isə tarixində ən böyük inkişaf dövrünə daxil olacaq. ABŞ iqtisadiyyatı 2009-cu ildən bəri artır - bu, ABŞ iqtisadiyyatının tarixində ən uzun genişlənmə dövrüdür. Bu ilin 2-ci rübündə ABŞ iqtisadiyyatı 4,1 faiz artım nümayiş etdirib, bu isə 2014-cü ildən bəri ABŞ-da ən yüksək iqtisadi artım tempidir. Digər təhlükə: Mərkəzi banklar JP Morgan Bankının prezidenti Jamie Dimon hesab edir ki, iri mərkəzi bankların siyasət dəyişikliyi və qlobal ticarət müharibəsi qlobal iqtisadiyyata ziyan vurmaqdadır. 2008-ci ilin maliyyə böhranından sonra, dünyanın ən böyük mərkəzi bankları, ABŞ-ın mərkəzi bankı da (Fed) daxil olmaqla trilyonlarla dollarlıq dövlət istiqrazları alıb iqtisadiyyatı yenidən sağlamlaşdırmağa çalışıblar. Jamie Dimon pul kütləsinin böyüməsindən narahatdır. \"Heç kimi qorxutmaq istəmirəm. Hökumətlər o qədər çox borca girib ki, insanlar nəsə dəyişəcək deyə təlaşa düşə bilərlər\", - o deyib. İsveçrənin Credit Suisse bankı iyulun sonundakı hesabatında 2018-ci ildə qeyri-müəyyənliklərin güclənməsinə səbəb olacaq amillər sırasında ticarət müharibələri və artan faiz dərəcələrini göstərib. Türkiyəli iqtisadçı-ekspert Şant Manukyan qeyd edir ki, misal üçün Venesuela və Argentina kimi ölkələr artıq iqtisadi böhranı yaşamaqdadırlar. Onun sözlərinə görə, daha güclü iqtisadiyyatlar bu çətin dövrdən nisbətən daha rahat çıxa biləcək. Ekspert hesab edir ki, avrozona və Çin qeyri-sabit artım və siyasi risklər səbəbilə böyük tənəzzüllər riski yaradır, buna görə də yeni iqtisadi böhran bu iki bölgədən birində çıxa bilər. Avrozonada son iki ildə iqtisadi artım ən aşağı sürətlə gedib, Şant Manukyan qeyd edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50310255", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-50992109", "doc1": "বেশিরভাগ মানুষ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি কেনাকাটা করে, তাই এক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে খাদ্যের অপচয় \"এই মুহূর্তে মানবতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ,\" বলেন নিউ ইয়র্কের শেফ ম্যাক্স লা মান্না। \"বেশি উদ্ভিদ, কম অপচয়\" নামে একটি বই লিখেছেন তিনি। এখানে তিনি বলেছেন যে, কেউ কিভাবে চাইলেই এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে পারে। জীবন ধারণের সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে খাবার। \"বাবা একজন শেফ ছিলেন বিধায় বলতে গেলে অনেকটা খাদ্যের দুনিয়ায় বড় হয়েছি আমি। আমার বাবা-মা সবসময় আমাকে খাবার নষ্ট না করতে শেখাতেন,\" বলেন মি: মান্না। \"৯শ কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে, প্রায় প্রতিটি স্তরেই আমরা খাদ্যে অনিরাপত্তার মুখোমুখি হচ্ছি এবং ৮২ কোটিরও বেশি মানুষের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই।\" আরো পড়ুন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কোন খাবার জনপ্রিয়? ঈদে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাংস খাবেন কিভাবে ওয়ার্ল্ড ভিগান ডে: গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় ম্যাক্স লা মান্না নিউ ইয়র্কের খাদ্য অপচয় বিরোধী একজন শেফ যিনি জিরো-ওয়েস্ট নীতি অনুসরণ করেন। আজ খাদ্য সংকট মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা- বিশ্বে উৎপাদিত খাবারের মধ্যে আনুমানিক প্রায় এক তৃতীয়াংশই হারিয়ে যায় বা নষ্ট বা অপচয় হয়। খাদ্যের অপচয় শুধু খাবারের অপচয় নয়, এর মানে হচ্ছে অর্থের অপচয়, পানির অপচয়, জ্বালানির অপচয়, ভূমির অপচয় এবং পরিবহণের অপচয়। এমনকি আপনার ফেলে দেয়া খাবার জলবায়ু পরিবর্তনেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। ফেলে দেয়া খাবারের স্থান হয় ভাগাড়ে যেখানে এগুলো পচে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। খাদ্য অপচয় যদি কোন দেশ হতো তাহলে এটি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমেরিকা ও চীনের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হতো। এটি ঠেকাতে আপনি যা করতে পারেন তা হলো- কেনাকাটায় স্মার্ট হোন অনেক মানুষই চাহিদার তুলনায় বেশি কেনাকাটা করে। বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অপচয় হয় স্মার্ট কেনাকাটার ক্ষেত্রে আগে একটি তালিকা তৈরি করুন এবং যা যা আপনার দরকার শুধু সেগুলোই কিনুন। বোনাস: আরেকবার বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করার আগে, আগের বার কেনা সব জিনিস ব্যবহারের জন্য একটি পয়েন্ট হিসাব করুন। খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন ভুল ধরণের খাবার ফ্রিজে রাখলে অপচয় বাড়ে খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে অনেক বেশি পরিমাণ খাবার অপচয় হয়। অনেকেই জানেন না যে সবজি এবং ফলমূল কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। এজন্য অনেক সময় ভালোভাবে পাকার আগে কিংবা বেশি পেকে গেলে তারপর সেগুলো সংগ্রহ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - আলু, টমেটো, রসুন, শশা এবং পেঁয়াজ কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এগুলো ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত। পাতাযুক্ত কাণ্ড বা শাক এবং লতানো খাবার পানি দিয়ে রাখতে হবে। রুটি ফ্রিজে রাখা যেতে পারে যদি মনে হয় যে সেগুলো একবারে খেয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। সম্ভব হলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। উদ্বৃত্ত খাবার সংরক্ষণ করুন(আসলে সেগুলোও খেয়ে ফেলুন) বেচে যাওয়া খাবার আবারো খাওয়ার উপযোগী করার অনেক উপায় রয়েছে- যেমন সবজির বেচে যাওয়া অংশগুলো একসাথে মিশিয়ে ভেজে ফেলুন উদ্বৃত্ত খাবার শুধু ছুটির দিনের জন্য রেখে দেয়া উচিত নয়। যদি আপনি অনেক রান্না করেন এবং নিয়মিতই খাবার উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে একটি দিন ঠিক করুন যেদিন আপনি রান্না না করে ফ্রিজে জমে থাকা খাবার খাবেন। খাবার ফেলে দেয়া রোধে এটি অনেক ভালো একটি উপায়। এছাড়া এটি আপনার সময় এবং অর্থ-দুটিই বাঁচাবে। ফ্রিজের সাথে সখ্যতা গড়ুন ফ্রোজেন খাবার সবসময় অপরোধ রোধ করে এবং এগুলো স্বাস্থ্য সম্মতও বটে খাবার সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তা ফ্রিজে রাখা। আর ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে এমন খাবারের তালিকাও বেশ লম্বা। যেমন, সালাদ হিসেবে যেসব সবুজ সবজি খাওয়া হয় সেগুলো সহজেই ফ্রিজে রাখা যায়। ব্যাগ কিংবা কন্টেইনারে করে এসব সবজি রেখে দিন এবং পরে সেগুলো স্মুদি বা অন্য রেসিপির জন্য ব্যবহার করুন। শাক বা লতানো খাবার অলিভ অয়েল আর টুকরো রসুনে মিশিয়ে বরফ তৈরির ট্রেতে করে সংরক্ষণ করা যায়। যা পরে ভেঁজে খাওয়া যায় বা অন্যান্য খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। অতিরিক্ত খাবার যেমন ফার্মে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত কোন খাদ্য পণ্য, স্যুপ বা মরিচের মতো পরিমাণে বেশি হয় এমন খাবারও ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে সব সময় স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে রান্না করা খাবারের চাহিদা পূরণও সম্ভব হয়। দুপুরের খাবার বাসা থেকেই নিয়ে যান বেচে যাওয়া খাবার প্যাকেট করা লাঞ্চ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এতে অপচয় কম হবে। যদিও সহকর্মীদের সাথে খাবার খেতে বাইরে যাওয়া কিংবা পছন্দের কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবারটি খাওয়া বেশ আনন্দদায়ক, কিন্তু এগুলো বেশ দামি এবং এতে খাবার অপচয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। অফিসের মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে সাথে করে নিয়ে যাওয়া খাবার অর্থ সাশ্রয় এবং সেই সাথে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করে সকালে যদি হাতে সময় কম থাকে, তাহলে আগেই উদ্বৃত্ত খাবার ছোট-ছোট কন্টেইনারে করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। এভাবে, আগে রান্না করা এবং মুখরোচক খাবার মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে আপনার হাতের কাছেই থাকবে। বাড়িতেই স্টক তৈরি করুন বাসায় বেচে যাওয়া সবজি দিয়ে স্যুপ রান্না করলে খরচও বেশ কমে আসে খাদ্য অপচয় কমানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে ঘরেই স্টক তৈরি করা। সবজির বিভিন্ন অংশ যেমন উপরের অংশ, ডাটা, খোসা বা অন্য যে কোন অংশ ছোট টুকরা করে কেটে অলিভ অয়েল বা মাখন দিয়ে মেখে তারপর পানি মেশান এবং পরে ফুটিয়ে এগুলো দিয়ে মজাদার সবজি ব্রথ বা স্যুপ তৈরি করা যায়। পারলে সার তৈরি করুন বেচে যাওয়া খাবার দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় জৈব সার উদ্বৃত্ত খাবার পুনরায় ব্যবহার করার একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে এগুলো দিয়ে সার তৈরি করা ,যা গাছের জন্য শক্তির যোগান দেয়। সবার যেহেতু বাড়ির বাইরে সার তৈরির ব্যবস্থা নেই, তাই রান্না ঘর বা অল্প জায়গাতেই সার তৈরির এক ধরণের ব্যবস্থা বা কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার রয়েছে যা প্রায় সবাই চাইলে ব্যবহার করতে পারে। যাদের বড় বাগান রয়েছে তারা চাইলে বাইরেই একটি কম্পোস্টার ব্যবহার করতে পারেন। আর কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার শহরের বাসিন্দা বিশেষ করে যাদের ছোট বাগান বা গাছ রয়েছে তাদের জন্য উপযোগী। ছোট পদক্ষেপ, বড় অর্জন টিকে থাকার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্য অপচয় কমানো, বলেন শেফ ম্যাক্স লা মান্না সবশেষে যেটি বলতে হয় তা হলো, আমরা সবাই চাইলেই খাদ্য অপচয় কমাতে পারি কারণ এর হাজারো রকম উপায় রয়েছে। আপনার বাড়ি থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয় সে সম্পর্কে পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান এই সম্পদ বাঁচাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আপনি সহায়তা করতে পারেন। আপনার কেনাকাটা, রান্না এবং খাওয়ার বিষয়ে ছোট ছোট পরিবর্তন এনে পরিবেশের উপর চাপ কমানো যেতে পারে। আর এটা তেমন কঠিন কিছুই নয়। ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি আপনার খাদ্য অপচয় বহুলাংশে কমিয়ে আনতে পারেন, অর্থ ও সময় সাশ্রয় করতে পারেন, আর কমাতে পারেন প্রকৃতির উপর থেকে কিছুটা চাপ।", "doc2": "Hazırda planetimizdə təxminən 820 milyonu aclıq çəkir. Nyu-Yorklu aşpaz Max La Manna hesab edir ki, bu ağılsız israfçılıq insanlığın qarşısında duran əsas problemlərdən biridir. Hətta Manna bu haqda \"Daha çox bitki, daha az zibil\" (\"More Plants, Less Waste\") adlı kitab da yazıb. O, BBC-yə müsahibəsində hər birimizin bu problemlə bağlı nə iş görə biləcəyini deyib. \"Atam aşpaz olduğu üçün yemək hələ uşaqlıqdan həyatımın vacib hissəsi olub. Valideynlərim mənə yeməyi atmamağı öyrədiblər\", o vurğulayır. Max La Manna heç vaxt yemək atmır Yemək israfı insanlığın qaşısında duran əsas problemlərindən biridir. Ərzağın təxminən üçdə biri ya sahələrdə çürüyür, ya da zibilə atılır. Amma israf edilən təkcə yemək deyil. Pul, su, enerji, torpaq və nəqliyyat da boşuna sərf edilir. Siz yemək atırsınızsa, bu, iqlimin dəyişməsinə də təsir edir, çünki tullantıların böyük hissəsi poliqona atılır və orada çürüyərək atmosferə metan qazı buraxır. Bütün ərzaq məhsullarını müstəqil bir ölkə kimi təsəvvür etsək, istixana qazlarının həcmi baxımından ABŞ və Çindən sonra üçüncü yeri tutar. Amma siz bununla mübarizə apara bilərsiz. Düzgün alış-veriş edin İnsanların böyük əksəriyyəti həddindən artıq çox ərzaq alır Biz əksər hallarda lazım olduğundan daha çox ərzaq alırıq. Mağazaya getməzdən əvvəl bizə olan ərzaqların siyahısını tutmaq və artıq şeylər almamaq lazımdır. Bundan başqa, yalnız aldığınız ərzaqları tam işlədib qurtarandan sonra təkrar mağazaya getməlisiniz. Ərzaqları necə saxlamaq lazımdır? Meyvə və tərəvəzlərin heç də hamısını soyuducuda saxlamaq lazım deyil. Ərzağı saxlama qaydalarına əməl etməyəndə, o, tez xarab olur. Çox adam hansı ərzaqları soyuducuya qoymaq lazım gəldiyini bilmir. Nəticədə meyvə və tərəvəzlər çürüməyə başlayır və sonra da zibil yeşiyinə atılır. Kartof, soğan, pomidor, sarımsaq və xiyarı soyuducuya yığmağa ehtiyac yoxdur, onları otaq temperaturunda da yaxşı qalır. Göyərtini isə su dolu qabda saxlamaq olar. Üst-üstə aldığınız çörəyin artığını dondurucuya qoyun. Supermarketdə və ya hər hansı başqa mağazada görünüşü çox gözəl olmayan, ancaq dadı digərlərindən heç də fərqlənməyən meyvə və tərəvəzləri alın. Ancaq çox adam görünüşə önəm verdiyi üçün onlar satılmamış qalır və zibilə atılır. Və əgər imkanınız varsa, təzə meyvələri fermerlərdən və ya yarmarkalardan alın. Yeməyin qalanını soyuducuya qoyun Artıq qalmış yeməklərdən yenilərini hazırlamağın bir neçə üsulu var Yeməyin artığı da faydalıdır. Tez-tez yemək bişirirsizinizsə və həmişə artıq yeməyiniz qalırsa, həftənin bir gününü ayırıb onları soyuducudan çıxarın - ya o şəkildə yeyin, ya da onlardan yeni bir yemək hazırlayın. Beləcə qalıq yeməklər zibilə atılmaz və siz həm vaxtınıza, həm də pulunuza qənaət etmiş olarsız. Dondurucunu unutmayın Meyvə-tərəvəzi və əti dondurucuda uzun müddət saxlamaq olar Ən yaxşısı ərzağı dondurucuda saxlamaqdır. Məsələn, yumşalaraq salat üçün yararsız hala gəlmiş tərəvəzləri dondurmaq, sonra da onlardan kokteyl və ya başqa bir şey hazırlamaq olar. Göyərtiniz çoxdursa, buz qabına yerləşdirib üstünə su tökün və dondurucuya qoyun. Sonra onları ya qızarda, ya da başqa bir yeməkdə istifadə edə bilərsiniz. İstənilən yeməyin, hətta şorbanın da qalığını dondurucuya qoymaq olar. Beləcə hər zaman sadəcə qızdırılması lazım gələn hazır yeməyiniz olacaq. İşə yemək aparın Ən dadlı yemək ev yeməyidir Ofisdən çıxıb iş yoldaşlarınızla nahar yeməyinə getmək xoşdur, xüsusilə də çox bəyəndiyiniz bir restorana. Amma bu, əlavə xərc və yemək israfı deməkdir. Ən yaxşısı yeməyi evdən aparmaqdır. Bunun üçün səhərlər nəsə hazırlamağa vaxtınız yoxdursa, dondurucuda qalıb öz vaxtını gözləyən yeməklərdən birini götürün. Bulyonlar hazırlayın Bulyonu, demək olur ki, hər şeydən hazırlamaq olar Yemək artıqlarından bulyon hazırlamaq olar. Tərəvəzləri və istifadə edilmədən qalmış hər nə varsa, hamısını qızardın və ya isidin. Ardınca qazana qoyub zeytun və ya kərə yağı əlavə edib, su və sevdiyiniz ədvaları da tökməklə vam odda bişirin. Sonra da öz yaradıcılığınızdan zövq alın. Gübrə hazırlayın Gübrəni hətta mənzildə də hazırlamaq olar Gübrə ərzaq artıqlarından ekologiyaya və təbiətə ziyan vurmadan xilas olmaq üçün çox yaxşı üsuldur. Bunu evin baxçasında etmək daha rahatdır, amma hamı həyəti olan evdə yaşamır. Bununla belə, gübrəni adi şəhər mənzilində də hazırlamaq mümkündür. O, otaq bitkilərinin inkişafı üçün əla vasitədir. Addım-addım irəliləyin Yeyinti artıqlarını azaltmağın yolları çoxdur və bunu hər birimiz edə bilərik. Ailənizin gün ərzində nə qədər ərzaq atdığı barədə düşünsəniz, situasiyanı yaxşılığa doğru dəyişə bilərsiz və çox qiymətli təbii resursların qorunmasına öz töhfənizi vermiş olarsız. Ərzaq alış-verişinə, onları hazırlama və istifadə vərdişlərinizə minimum dəyişikliklər etməniz belə ətraf mühiti müdafiəyə kömək edər. Bu, heç də mürəkkəb məsələ deyil. Çox az əmək sərf etməklə, siz zibilə atdığınız yeməyin, sərf etdiyiniz pulun və zamanın miqdarını xeyli dərəcədə azalda və təbiətə kömək etmiş olarsız."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41236395", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41236467", "doc1": "রুশিদা হকের ১৫ বছর বয়সী ছেলে দুটি পা হারিয়েছে। তাঁর ভাষায় 'এমনভাবে বেঁচে থাকার দরকার কী ছিল?' ১৫ বছর বয়সী মিয়ানমারের এক কিশোরের চিকিৎসা চলছে বাংলাদেশের এক হাসপাতালে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে দুটো পা হারিয়েছে এই কিশোর । একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরেক নারী, যিনি জানিয়েছেন সীমান্তে গুলি খাওয়ার পর মাইনের ওপর আছড়ে পড়েন তিনি। নব্বইয়ের দশকে ওই এলাকায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নিষিদ্ধ এ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন পুঁতেছে বলে অভিযোগ তুলে বাংলাদেশি বিভিন্ন সূত্র এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। যদিও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন সোমবার বলেছেন, 'মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর-নির্মম অভিযান চলছে'। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন যে সেখানে যে হামলা চালানো হচ্ছে তা পাঠ্য বইয়ের জন্য 'জাতিগত নিধন' এর একটি অন্যতম উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আহত রোহিঙ্গাদের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে, একটি হাসপাতালে ঘুরের বিবিসির রিতা চক্রবর্তী দেখেছেন বেশিরভাগই সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। অনেকের দেহের নানা জায়গায়, কেউ হাত আবার কেউবা পা হারিয়েছেন। ১৫ বছর বয়সী আজিজু হক, তার দুই পা হারিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, সাথে আছে তার মা। আজিজুর ভাইও অন্যএক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে, তারও একই অবস্থা-জানালেন তাদের মা রুশিদা হক। \"তাদের দেহের ক্ষত এতটাই যে আমার কাছে সেটা মৃত মানুষের মতোই। ওপরওয়ালা যদি তাদের নিয়ে যেত তাহলে ভালো হতো। ছেলেগুলো আমার অনেক কষ্ট করছে\" বিবিসিকে বলেন রুশিদা হক। বিস্ফোরণে আজিজু হকের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে, দুটো পা নেই,এছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। আজিজুকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে ডাক্তাররা। কিন্তু তাকে বাঁচানোর আশা ক্ষীণ বলে জানা যাচ্ছে। কারণ আজিজুরের রক্তের গ্রুপ বিরল, ওই গ্রুপের রক্ত কোনো ব্লাড ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কদিন রক্তদাতা পাওয়া গেলেও এখন আর কোনো দাতারও সন্ধান মিলছে না। অন্যদিকে আহত আরেক নারী সাবেকুর নাহার বিবিসিকে বলেন, মিয়ানমারে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর তিন ছেলেকে নিয়ে নিজ গ্রাম থেকে পালান তিনি। যখন সীমান্ত পার হচ্ছিলেন তখনই গুলির আঘাতে মাইনের ওপর পড়ে যান। আমাদের গুলি ছুঁড়লো,এবং তারা মাইনও পুঁতে রেখেছিল সেটার ওপর পড়লাম\" বলেন ৫০ বছর বয়সী সাবেকুর নাহার। ছোটখাট দেখতে সাবেকুরের দেহেও নানা ক্ষত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো কে জ্বালিয়ে দিচ্ছে?", "doc2": "Roshida Haque deyir ki, onun 15 yaşlı oğlunun sağqalma ehtimalı azdır Onlardan biri, Banqladeşdə müalicə olunan 15 yaşlı oğlan iki ayağını itirib. Eyni xəstəxanada qalan başqa bir qadın deyib ki, o və ailəsi də bilmədən minalı əraziyə düşüblər. Minaları kimin yerləşdirdiyi aydın deyil. Son həftələrdə Myanmadan (Birma) 300 mindən çox Rohincalı qaçıb. Ordu orada dinc əhalini hədəfə aldığını təkzib edir. Bazar günü Amnesty International insan hüquqları qrupu Myanma hakimiyyətini rohingyalıların qaçdığı sərhəd məntəqələrində piyadalar əleyhinə minalar yerləşdirməkdə ittiham edib. Myanmanın bir hərbçisi Reuters-ə bildirib ki, minalar 1990-cı illərdə sərhəd boyunca yerləşdirilib və həmin vaxtdan ordu onları zərərsizləşdirməyə cəhd göstərib. Mənbə həmçinin əlavə edib ki, son günlər həmin ərazilərdə heç bir mina yerləşdirilməyib. BBC-nin ziyarət etdiyi xəstəxanada minaya düşən insanların müxtəlif bədən xəsarətləri ilə xəstəxanaya axını müşahidə olunur, həkimlər deyirlər. Azizu Hak adlı 15 yaşlı oğlan ayaqlarını itirib. Başqa bir xəstəxanada onun qardaşı da eyni aqibətlə üzləşib, onun anası deyir. \"Onların zədələri o qədər pisdir ki, sanki ölüblər\", o, BBC-yə bildirib: \"Yaxşısı budur ki, Tanrı [Allah] onları götürsün, onlar çox əziyyət çəkirlər\". Sabequr Nahar adlı başqa bir yaralı qadın deyir ki, hərbi qüvvələr onun icmasını hədəflədiyi üçün Myanmadan qaçıblar və övladları ilə sərhədi keçərkən minanı tapdalayıb. \"Bizə güllə atıblar, vurublar və ərazilərə mina yerləşdiriblər\", 50 yaşlı qadın bildirib. Zorakılıq avqustun 25-də Rohinca yaraqlılarının Raxin vilayətində polis postlarına hücum edərək 12 təhlükəsizlik əməkdaşını öldürdükdən sonra başlayıb. Bundan sonra başlayan geniş təhlükəsizlik əməliyyatı beynəlxalq tənqidə səbəb olub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44786426", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38767129", "doc1": "চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বসানোর পর, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে বেইজিং অভিযোগ করেছে, অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে এ নিয়ে অভিযোগও করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক তালিকায় যেসব চীনা পণ্য রয়েছে, তার একটি সিএফ মোটর সাইকেল। চীনের কোম্পানি 'সি এফ মোটো'র তৈরি করা একরকম বারো হাজার মোটর সাইকেল এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু এখন তাদের এরকম বাণিজ্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সে কথাই বলছিলেন কোম্পানির অন্যতম ব্যবস্থাপক গাও চিং। ''অতিরিক্ত পঁচিশ শতাংশ ট্যাক্স অবশ্যই আমাদের ব্যবসায় অনেক প্রভাব ফেলবে। এটা আমাদের মুনাফা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।'' যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ কিভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সি এফ মোটো আমেরিকানদের চাকরির সুযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু সেটা মনে করেন না গাও চিং। তিনি বলছেন, ''আপনি যদি আমাদের কারখানাটি ভালো করে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন, যে আমরা আমাদের নিজেদের যোগ্যতাতেই এ পর্যন্ত এসেছি এবং টিকে রয়েছি। সেটা আমরা করেছি আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনেই।'' কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা মনে করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, নিয়মনীতি ভেঙ্গে চীনের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন চীনের প্রধান শিল্পনীতি নিয়ে, যাকে চীনারা বলছে 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ'। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে একটি বড় ধরণের পরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য বিশ্বের অর্থনীতিতে চীনের এক নম্বর হয়ে ওঠা। যার প্রধান উপাদান হবে রবোটিক্স এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলসের মতো প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। সাংহাইয়ের কোম্পানি ফোরইয়া ইন্টেলিজেন্স রবোটিক্স ব্যবহার করে এমন একটি বিশেষ পোশাক তৈরির চেষ্টা করছে, যেটি মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া লোকজনকে হাটতে সহায়তা করবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গু জিয়ে স্বীকার করেন, এটা হচ্ছে সেই ধরণের কোম্পানি, যাদের কথা চীনের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' শ্লোগানে বলা হচ্ছে। তার মতে, এই শ্লোগান নিয়ে অন্য দেশের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এই শ্লোগান হচ্ছে চীনের উন্নয়ন ধরে রাখার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই উপকৃত হবে। তিনি বলছেন, ''চীন হচ্ছে একটি মানব শিশুর মতো। আপনি কখনোই একটি শিশুকে বড় হওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবেন না। বরং সেখানে বাধা সৃষ্টি না করে, সেই উন্নয়নে সহযোগী হওয়া, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে সঠিক পথ দেখানো ভালো, যার মাধ্যমে ভালো অংশীদার হওয়া সম্ভব।'' তবে এসবে সন্তুষ্ট নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই মুহূর্তে তার শুল্ক তালিকায় রয়েছে সিএফ মোটোর মতো অনেক ভারী শিল্প পণ্য, যা এই কারখানায় তৈরি হয়। এখন চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে পাল্টা জবাব দিতে চাইছে। অন্যদিকে মি. ট্রাম্প চীনে তৈরি প্রায় সব পণ্যের ওপরই শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন। কয়েক দশকের বাণিজ্য সম্পর্কের পর বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনীতির দেশ অনিশ্চিত এক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানে অর্থপূর্ণ আলোচনার কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আর কোন পক্ষই যেন নিজেদের মধ্যকার এই দেয়াল ভাঙ্গতে প্রস্তুত নয়। আরও পড়তে পারেন: চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত অপরাধীদের 'স্বর্গরাজ্য' দক্ষিণ আফ্রিকার যে শহর খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতেই দিলো না দিল্লী 'বিরিয়ানি নিয়ে যুদ্ধে' উত্তপ্ত ভারতের দুই রাজ্য", "doc2": "ABŞ və Meksika arasında bəzi sərhəd yerlərində divar artıq mövcuddur Xarici işlər naziri Luis Videgaray-ın sözlərinə görə, belə vergi Meksikadan idxal edilən məhsulları ABŞ-da bahalaşdıra və nəticədə, onlar divar haqqını ödəməli olarlar. Meksika prezidenti bundan əvvəl, sərhəd divarının tikintisinə kimin pul ödəməsinə dair mübahisələrə görə ABŞ-a səfərini təxirə salıb. Planlaşdırılan divar cənab Trump-ın seçki kampaniyasının əsas vədlərindən biri idi. Bu həftənin əvvəlində prezident, ABŞ-Meksika sərhədi boyunca 3,200 kilometrlik divar tikilməsi haqqında sərəncam imzalayıb. Cümə axşamı çıxış edən cənab Videgaray bildirib: \"Meksikadan ABŞ-a idxal edilən məhsullara vergini artırmaq Meksikanı divar haqqını ödəməyə məcbur etmək yolu deyil, əksinə şimali amerikalı istehlakçılarının avokado, paltaryuyan maşın və televizor kimi məhsulları daha baha almasıdır.\" O, həmçinin qeyd edib ki, cənab Trump-ın divarı üçün pul ödəmək Meksika üçün \"danışıqlar mövzusu deyil\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43945801", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44030270", "doc1": "মিশরে অনেক নারীরই কোঁকড়া চুল দেখা যায় ২৬ বছর বয়সী এই তরুণীর মাথা ভর্তি ছিলো কোঁকড়া চুলে, স্পেনে যে চুলের বেশ সমাদর। এমান এল দিব এখন বসবাস করছেন সেখানেই। \" দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিলো আমার জন্য খুবই কষ্টের। কখনোই ভাবিনি যে আমি একজন অভিবাসী হবো। কিন্তু আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এমন কোথাও গিয়ে বাস করতে চাইছিলাম যেখানে আমি দেখতে কেমন সেটি অন্য কারও মাথাব্যথার কারণ হবেনা\"। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে কোঁকড়া চুলের কারণে তাকে বেশ গঞ্জনা সইতে হয়েছে তখন। এমান বলছেন এমনকি বন্ধুদের কাছেও হাস্যকর মনে হচ্ছিলো নিজেকে। \"প্রথম কয়েকমাস একটি মিশরীয় ব্যাংকে চাকুরী করেছিলাম। তখন প্রায় প্রতিদিনই মানবসম্পদ বিভাগ থেকে আমাকে বলা হলো যে চুলগুলো সোজা করো\"। হয়তো এমানের সিদ্ধান্তটি অনেক বেশি কঠিন বলে মনে হচ্ছে কিন্তু মিশরে অনেক নারীকেই এ সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এমান এল দিব যদিও মিশরে বেশিরভাগই নারীর কোঁকড়া চুলই প্রকৃতি প্রদত্ত। যদিও অল্প বয়স থেকেই 'সমাজের চোখে সুন্দর' দেখানোর জন্য এ চুল সোজা করাতে জোর করা হয়। চুলের জন ফেসবুক গ্রুপ ২০১৬ সালে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয় যার উদ্দেশ্যই ছিলো নারীদের প্রকৃত প্রদত্ত চুলের যত্নে সহায়তা করা এবং গ্রুপটি শুরু থেকেই ব্যাপক সাড়া পেতে শুরু করে। দ্যা হেয়ার অ্যাডিক্ট গ্রুপে এখন আছেন এক লাখেরও বেশি নারী সদস্য। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা দোয়া গ্যাউইশ নিজেও চুলের জন্য অনেক ভুগেছেন। \"আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার চুল নিয়ে রীতিমত হাসিতামাশা করা হতো। তাই সবসময় সোজা করে রাখতাম\"। তবে এখন চুল নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে অনেক। ৩২ বছর বয়সী নোরা আমর বলছেন মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন আর এখন বরং কোঁকড়া চুলের সংস্কৃতিও ফিরে আসছে। তার মতে এটি আসলে সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। নিজের কন্যার সাথে হেয়ার অ্যাডিক্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ফলশ্রুতিতে কোঁকড়া চুলের স্যালুনও যাত্রা শুরু করেছে প্রথম বারের মতো এবং বিষয়টি ক্রমশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে ব্যাপক। যা টের পাচ্ছেন এমান এল দিব নিজেও। \"এ বছর এপ্রিলে যখন মিশরে বেড়াতে আসলাম তখন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলছিলো যে তোমার চুলগুলো খুব সুন্দর। চূল নিয়ে মিশরে এটাই প্রথম কোন ইতিবাচক মন্তব্য শুনলাম আমি\"। মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কেন পরিবর্তন আনা হচ্ছে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ হলেন কয়েকশ দলিত", "doc2": "Eman El-Deeb-ə demək olar ki, hər gün saçlarını düzləşdirmək deyilirdi 26 yaşlı xanımın iri buruq saçları var. O, hazırda İspaniyada yaşayır və onun buruq saçları burada çox bəyənilir. Ancaq bir çox qadınların Avropa gözəllik ideallarını təqlid etməyə çalışdığı Misirdə saçlarını lənət kimi hiss edirdi. \"Ölkəni tərk etmək qərarı mənim üçün çox kədərli idi. Mən heç vaxt köçəcəyimi təsəvvür etməmişdim\", - Eman deyir. \"Ancaq mən yorulmuşdum... Elə bir nöqtəyə gəmişdim ki, mənim görkəmimin heç kəsi narahat etmədiyi yerdə yaşamaq istəyirdim.\" Misir qadınlarının çoxunun təbii buruq saçları var Eman deyir ki, Misirdə o, tanışlar və yad adamlar tərəfindən də lağa qoyulurdu. \"Misir bankında işlədiyim ilk aylarda demək olar ki, hər gün insan resursları şöbəsindən kimsə gəlib saçlarımı düzləşdirməyi istəyirdi.\" Emanın köçmək qərarı çoxlarına mənasız gəlsə də, ehtimal ki, onun hekayəsi Misirdəki bir çox qadında əks-səda effekti yaradacaq. Misirli qadınların çoxunun saçları buruqdur. Onların çoxu hələ uşaqlıqdan cəmiyyətin gözəllik standartlarına uyğun gəlmək üçün saçlarını düzləşdirməyə məcbur edilir. \"Saçlarıma görə lağa qoyulurdum\" 2016-cı ildə burada qadınların saçlarına təbii qulluq etmələri üçün Facebook qrupu açılanda qoşulanlar çox olmuşdu. Bu gün qrupun yaradılmasından iki il sonra \"Hair Addict\" qrupunun 105 mindən artıq qadın üzvü var və bunların 95%-dən çoxu aktiv müzakirələr aparır. Doaa Gawish qızı ilə birgə Hair Addict Facebook qrupunu yaradıb Qrupu 38 yaşlı Doaa Gawish saçlarına görə əziyyət çəkəndən sonra yaradıb. \"Uşaq olanda saçlarıma görə ələ salınırdım... Həmişə saçlarımı düzləşdirirdim\", - o deyib. O indi saçlarını düzləşdirməkdən əl çəkib. Noran Amr: \"İnsanlar indi daha çox maariflənir\" Artan maarifləndirmə 32 yaşlı Noran Amr artıq bir ildir ki, saçlarını düzləşdirmir. O, ilk dəfə keçən ay təbii buruq saçları ilə toyda iştirak edib. \"Toyda insanların reaksiyaları çox müsbət idi. Hər kəs saçlarımın necə gözəl olduğunu deyirdi.\" \"İndi insanlar daha çox maariflənirlər. İndi Misirdə buruq saç mədəniyyəti var.\" \"İlk müsbət şərh\" Tələbətlar çoxaldıqca bu il ilk buruq saç salonu açılıb. Salonda həftədə 30 nəfərdən çox müştəri olur və onların çoxu gənclər olur. Hair Addict tərəfindən Misir salonları və stilistləri üçün təşkil olunan təlim sessiyası Studiyanın 33 yaşlı sahibi Sara Safwat buruq saçın trendə çevrildiyini deyir. \"2017-ci ildə Misirə gələndə taksi sürücüsü saçımın çox gözəl olduğunu dedi. İlk öncə onun kinayə işlətdiyini düşündüm. Sonra isə onun səmimi olduğunu anladım.\" \"Bu, mənim Misirdə saçlarım haqqında eşitdiyim ilk müsbət şərh idi.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43027901", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43023336", "doc1": "এই হোটেলেই বন্দি ছিলেন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইশোর বেশি প্রিন্স, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী রিয়াদে পাঁচ তারা হোটেলটির কর্মীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, অতিথিদের জন্য হোটেলটি খুলে দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত হোটেলটিতে কোন অতিথি রাখা হয়নি। সেদি আরবের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রিৎস-কার্লটন হোটেলে এখনো ৫৬জন বন্দি আছেন। যদিও দেশটির কোন কোন রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিৎস-কার্লটন হোটেলের বাকি বন্দিদের কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত জুনে উত্তরাধিকারী হিসাবে যুবরাজ মোহাম্মেদের নাম ঘোষণা করেন বাদশাহ সালমান জানুয়ারি মাসের শেষদিকে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রিন্সসহ প্রভাবশালী গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে অর্থনৈতিক দণ্ডের রফা করেছে সরকার। এ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই দশ হাজার কোটি ডলার বা ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করেছে সরকার। যদিও সরকারের হিসাবে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের গোপন বা অফ শোর হিসাবের অর্থের পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত নভেম্বরে দেশটিতে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালু হবার পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রভাবশালী বন্দিদের রাখার জন্য রিৎস-কার্লটনসহ বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল ব্যবহৃত হতো। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান, দেশটির দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই দুর্নীতি দমন অভিযান শুরু হয়। আরো পড়ুন: ইন্টারনেটের গতি কমানোর উদ্যোগ কতটা সফল হবে? হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ জেল কোড অনুসারে ডিভিশন পান কারা? এরপর একে একে রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হন। তাদেরকে বিলাসবহুল হোটেলে আটকে রাখা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পাশাপাশি, তাদের ব্যক্তিগত বিমানগুলো আটকে রাখা হয় এবং তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল, এবং সৌদি মিডিয়া মোগল ওয়ালিদ আল-ইব্রাহিম উল্লেখযোগ্য। বলা হয়ে থাকে, দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি যুবরাজের এ উদ্যোগের সঙ্গে ক্ষমতার যোগসূত্র আছে। যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বা এমবিএস, নামেও যিনি পরিচিত, এর মধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গুলোয় ক্ষমতা করায়ত্ত করেছেন। তিনি এখন বিশ্বের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বলা হয়, যুবরাজ দুর্নীতি দমন অভিযানের মাধ্যমে তিনি কার্যত নিজের ক্ষমতার জানান দিয়েছেন।", "doc2": "Antikorrupsiya kampaniyası gedişində 200-dən çox şahzadə, nazir və biznesmen saxlanılıb. Ər-Riyad şəhərindəki Ritz-Carlton otelinin işçiləri BBC-yə bildiriblər ki, mehmanxana yenidən qonaq qəbul etməyə başlayıb. Səudiyyənin bu və bir sıra digər otellərində antikorrupsiya kampaniyası gedişində 200-dən çox şahzadə, nazir və biznesmen saxlanılıb. Yanvarın sonunda Səudiyyə prokuroru bildirmişdi ki, kampaniya nəticəsində saxlanılanlarla əldə olunmuş razılıq əsasında xəzinəyə ümumilikdə $100 milyarda yaxın pul və aktiv qaytarılıb. Baş prokuror deyib ki, 56 nəfər hələ də həbs altında saxlanmaqdadır, bəzi xəbərlərə görə, həmin adamlar Ristz-Carlton otelindən həbsxanaya köçürülüblər. Səudiyyə Ərəbistanında antikorrupsiya kampaniyası kral Salmanın 32 yaşlı oğlu, vəliəhd Məhəmməd bin Salmanın təşəbbüsü ilə keçirilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48099010", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48028835", "doc1": "১৯৭৬ সালে প্রিন্স আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর সাথে লর্ডনের বারাকুডা রেস্তোরায় ইমোন ও'কফি। ধনী মানুষটি প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন নাসের। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ'র নাতি এবং রিয়াদের সাবেক গভর্নরের ছেলে। কল্পনারও অতীত ধন-সম্পদের মালিক। আর গরীব মানুষটির নাম ইমোন ও'কিফি। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের একজন ফুটবলার। ছাপাখানার শ্রমিকের ছেলে। ওল্ডহ্যাম শহরে ছোট একটি বাড়িতে থাকেন। এই দুজন সেদিন কানের একটি ক্যাসিনো থেকে ফিরছেন। প্রিন্স আবদুল্লাহ জুয়ায় হেরেছেন সে রাতে। সব সময়ই হারেন তিনি। অবশ্য তাতে তার কিছু যায় আসে না। এক রাতে কয়েক হাজার ডলার নষ্ট হওয়া নিয়ে কোন সৌদি রাজপুত্রেরই কিছু যায় আসে না। ইমোন জুয়া খেলেন না। কিন্তু তিনি জিতেছিলেন সে রাতে। তার দুবছর বছর আগেও তিনি ইংলিশ তৃতীয় ডিভিশন ফুটবল লীগের ক্লাব প্লিমাথ আরগেইলের রিজার্ভ খেলোয়াড় ছিলেন। বাড়ির বিদ্যুতের বিলের পয়সা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এক ধনী পরিবারের সঙ্গী হয়ে বিমানের প্রথম শ্রেণীতে চড়ে ইউরোপ ঘুরছেন। পাঁচ তারকা হোটেলে থাকছেন। ঐ রাতে কানের গ্র্যান্ড হোটেলের লিফটে প্রিন্স আবদুল্লাহ ইমোনের চোখে চোখ রাখলেন। \"আমি তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই, \" আব্দুল্লাহ বললেন। ইমনের কাঁধে হাত রাখলেন, \"আমার মনে হয় আমি তোমাকে ভালোবাসি।\" তিনি এতটাই কাছে ছিলেন যে রাজপুত্রের শ্বাস-প্রশ্বাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন ইমোন- সিগারেট এবং হুইস্কির গন্ধ। ইমোন বললেন, \"আপনি কি আমাকে আপনার ভাই হিসাবে ভালোবাসেন?\" \"না\", আবদুল্লাহ বললেন, \"ঠিক ভাইয়ের মতো নয়।\" তারপর কানের ঐ হোটেলের লিফট থেকে শুরু হলো ইমোনের বিপত্তির ইতিহাস। আরো পড়ুন: কিভাবে 'তেল অস্ত্র' প্রয়োগ করেছিল আরব দেশগুলো যেভাবে জঙ্গিদের হাতে অবরুদ্ধ ছিল কাবা শরিফ না ঘুমিয়ে যেভাবে বিশ্বরেকর্ড করেন মার্কিন স্কুল বালক ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর আসল কারণ কী ছিল? ম্যানচেস্টার বয়েজ ক্লাবে খেলতেন কিশোর ইমোন (সামনে প্রথম বাঁয়ে)। ইমোন, যার বয়স এখন ৬৫, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটেনে বড় হয়েছেন। ম্যানচেস্টারের উত্তরে ব্ল্যাকলে এলাকায় ছোট একটি সরকারি বাড়িতে থাকতেন। তিন ভাই এবং দুই বোনের সাথে তাদের নানীও থাকতেন ঐ বাড়িতে। ছোট এক বাড়িতে এত লোক রাতে শুতো কোথায়? ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে বসে হাসিমুখে ইমোন বললেন, \"সে কথা ভেবে আমি এখনও অবাক হই।\" জাতিতে আইরিশ তার বাবা স্থানীয় সেন্ট ক্লেয়ার ক্যাথলিক ফুটবল টিম নামে একটি ফুটবল দল চালাতেন। ক্লাবের জার্সিগুলো ধুয়ে ‌ইস্ত্রি করতেন তার মা। খেলা শেষে বলগুলো কুড়িয়ে বাড়িতে এনে ধোয়ার দায়িত্ব ছিল ইমোনের । বাড়ির পাশে পার্কে ফুটবল খেলতেন ইমোন। একসময় নজর কেড়েছিলেন তিনি। এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের ইয়ুথ টিমে ডাক পেয়েছিলেন। এক ম্যাচে তার পা ভেঙ্গে যায়। ফলে ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে ফ্লাড লাইটের নীচে ফুটবল খেলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় তার। পা ভালো হলে স্টেলিব্রিজ সেলটিক নামে একটি আধা-পেশাদার ক্লাবে নাম লেখান। তখন ঐ ক্লাবের কোচ ছিলেন জর্জ স্মিথ, যিনি পরে আন্তর্জাতিক স্তরে কোচিং করিয়েছেন। স্টেলিব্রিজ ছেড়ে জর্জ সৌদি আরবের সবচেয়ে ধনী এবং বড় ক্লাব আল হিলালের ম্যানেজারে চাকরি নিলেন। জর্জ চলে যাওয়ার পর স্টেলিব্রিজ ছেড়ে ৩০০ মাইল দূরে প্লিমাথে চলে যান ইমোন। কিন্তু প্লিমাথে যে পয়সা তিনি পেতেন, তা দিয়ে বাড়ি ভাড়ার পয়সাও হতো না। এক বছর না যেতেই বাড়ি ফিরে গেলেন। একদিন আরবি ডাকটিকেট লাগানো একটি চিঠি পেলেন তিনি। চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন সৌদি আরব থেকে জর্জ স্মিথ। এক মাসের ট্রায়ালের জন্য তিনি ইমোনকে সৌদি আরবে আসতে লিখেছেন। ট্রায়ালে ভালো করলে এবং সৌদি আরবের গরম সহ্য করতে পারলে ক্লাবের প্রথম ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসাবে তিনি আল হিলালে যোগ দিতে পারবেন। \"নভেম্বর মাস ছিল তখন। ম্যানেচেস্টারে তখন বরফ পড়ছিলে,\" স্মৃতিচারণ করছিলেন ইমোন, \"আমি ভাবলাম প্রস্তাবটি খারাপ নয়।\" কিন্তু শুধু যে আবহাওয়ার কারণেই তিনি প্রস্তাবটি লুফে নিয়েছিলেন তা নয়, পয়সা ছিল প্রধান বিবেচনা। ইমোন তখনই বিবাহিত, দুটি সন্তান। ভেবেছিলেন সৌদি আরবে গেলে হয়তো বাড়ির মর্টগেজটা দ্রুত শোধ করতে পারবেন। লন্ডনে গিয়ে কায়রো, জেদ্দা হয়ে রিয়াদের প্লেন ধরলেন ইমোন। জেদ্দায় নেমেই বুঝলেন তিনি ভিন্ন ধরণের একটি দেশে এসেছেন। তার হাতে ছিল ইংলিশ ট্যাবলয়েড সানডে এক্সপ্রেস। একজন সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার পত্রিকাটি নিয়ে কাঁচি দিয়ে প্রতি পাতায় মেয়েদের ছবির মুখগুলো কেটে ফেললেন। এরপর থেকে ইমোন পদে পদে টের পেয়েছেন যে তিনি ভিন্ন একটি সংস্কৃতির দেশে এসেছেন। বর্তমানে ম্যানচেস্টারে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন ইমোন ও'কফি। রিয়াদে তাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে রানওয়েতে অপেক্ষা করছিলেন জর্জ। বিশাল এক বুইক গাড়ির বনেটে বসে ছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টারে ফিস অ্যান্ড চিপস খাওয়াটাই যেখানে বড় ব্যাপার ছিল, সেখানে রিয়াদে এসে ইমোন উঠলেন পাঁচ তারকা হোটেলে। খাবার-পানীয় সব ফ্রি। ২২ বছরের ইমোন যেন রাতারাতি ভিন্ন এক জগতে এসে পড়লেন। ১৯৭৩ সালে বিশ্বের জ্বালানি তেলের সঙ্কটের কারণে সৌদি অর্থনীতি তখন ফুলে ফেঁপে উঠছিলো। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে সৌদি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩,০০০ শতাংশ। ফলে ক্ষমতাবান মানুষদের পকেটে এসেছিলো অবিশ্বাস্য পরিমাণ টাকা। তেমনই এক ধনী ক্ষমতাবানের সাথে দেখা হলো ইমোনের। রিয়াদের আল হিলালের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে তার সাথে দেখা হলো প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন নাসেরের। ইমোন তখনও ট্রায়ালে রয়েছেন। একটি প্রাকটিস ম্যাচ চলাকালে নীল রঙের এক বুইক গাড়িতে চড়ে মাঠে এলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স আবদুল্লাহ। \"জর্জ আমাকে বললেন ঐ যে গাড়ি, ঐ গাড়িতে আমাদের প্রেসিডেন্ট। তোমাকে ক্লাবে রাখা হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত উনিই দেবেন। ভালো করে খেল।\" সে সময় রাইট উইং থেকে বলের পাস এলো। গোলের সামনেই ছিলেন ইমোন। হেড করে বল জালে ঢুকিয়ে দিলেন। \"গুলির মতো বলটি কোণা দিয়ে জালে ঢুকেছিল। সত্যিই গুলির মত।\" পাঁচ মিনিট পর লেফট উইং থেকে আসা আরেকটি পাস থেকে আবারো গোল করলেন ইমোন। ম্যাচের বিরতিতে কানের কাছে ফিসফিস করে জর্জ বললেন, \"টাকা নিয়ে তোমার মনে যা রয়েছে, তার শেষে একটি বাড়তি শূন্য বসিয়ে নিও।\" ম্যাচের পরপরই প্রিন্সের সাথে দেখা করতে গেলেন ইমোন। তখনও গায়ে ঘামে ভেজা জার্সি, শর্টস। আবদুল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করলেন হোটেল ঠিক আছে কিনা। তিনি খুশি কিনা। ইমন উত্তর দিলেন সব ঠিক আছে। প্রিন্স তখন জর্জকে জিজ্ঞেস করলেন, ইমানের পারফরমেন্সে তিনি খুশি কিনা। জর্জ বললেন - হ্যাঁ। \"তাহলে হোটেলে গিয়ে আপনার চাহিদা কি তা ঠিক করে ফেলেন,\" বললেন আবদুল্লাহ। ৭০ দশকে সৌদি ক্লাব আল হিলালিতে ইমোন ও'কফি (ডান থেকে দ্বিতীয়)। জর্জের সাথে বসে ইমোন একটি তালিকা বানালেন : টাকা, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ইংল্যান্ডে যাওয়ার ফ্লাইটের ভাড়া, বড় হওয়ার পর দুই ছেলের প্রাইভেট স্কুলের খরচ। পরের ট্রেনিংয়ের দিনে প্রিন্স এলে তালিকাটি তার হাতে তুলে দেন জর্জ। প্রিন্স দেখে বললেন, \"কোনো সমস্যা নেই।\" দেশে ইমোনের তখন আয় ছিল সপ্তাহে ৪০ পাউন্ড, সেই সাথে ফুটবল খেলে পেতেন ১৫ পাউন্ড। আল হিলালে তার সাপ্তাহিক আয় দাঁড়ালো ১৪০ পাউন্ড, যা এখনকার ১,১০০ পাউন্ডের সমান। কোনো কর নেই, বিল নেই, বাসা-ভাড়া নেই। চুক্তি চূড়ান্ত করে ইমোন ফিরে গেলেন ম্যানচেস্টারে। পরিবার নিয়ে ফিরলেন রিয়াদে। প্রথমে উঠলেন একটি হোটেলে। \"অনেক বিল হতো, কিন্তু তা নিয়ে কখনই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।\" ইমোনের স্ত্রী রিয়াদে ফার্স্ট ন্যাশনাল সিটি ব্যাংকে চাকরি নিলেন। সপ্তাহে দুদিন প্রশিক্ষণের বাইরে ইমোনের সময় কাটতো বাচ্চাদের নিয়ে আয়েশে। তাদের নিয়ে প্রতিদিনই সুইমিং পুলে কাটাতেন। প্রথম দিন থেকেই আবদুল্লাহ ইমানকে পছন্দ করেছেন। তাকে একটি গাড়ি কিনে দিলেন প্রিন্স। একটি সিলভার রংয়ের পনটিয়াক ভেনচুরা। প্রায়ই ইমোনকে চায়ের দাওয়াত দিতেন। একসাথে বড় স্ক্রিনের টিভিতে ফুটবল দেখতেন। নিজের পরিবার নিয়ে কথা বলতেন প্রিন্স। অসম বন্ধুত্ব। কিন্তু সৌদি রাজ পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতাকে ইমোন উপভোগ করতেন। তিনি দেখলেন রাজপরিবারের হয়েও সৌদিরা খুবই সাদাসিধে মানসিকতার মানুষ। ফুটবল মাঠেও সময় ভালোই যাচ্ছিলো। কিংস কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ক্লাব। মৌসুম শেষে ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ডে গেলেন ইমোন। যাওয়ার আগে আবদুল্লাহ ইমোনের বাড়ির ফোন নম্বর চাইলেন। \"আমিও ইংল্যান্ডে যাবো, দেখা হবে আমাদের।\" তিন সপ্তাহ পর, আবদুল্লাহ ইমোনের মায়ের বাড়িতে ফোন করেন। ফোন তুলেছিলেন তার মা। ইমোন ফোন ব্যাক করলেন। প্রিন্স ছিলেন লন্ডনে হ্যারডসের কাছে কার্লটন টাওয়ার হোটেলে। দুদিন পর তার সাথে দেখা করতে ইমোন লন্ডনে গেলেন। ট্রেন স্টেশনে তার জন্য বিলাসবহুল গাড়ি অপেক্ষা করছিলো। লন্ডনে সৌদি টাকা উড়তে দেখছিলেন ইমোন। প্রিন্স সেসিল গি'র ছয়টি স্যুট কিনলেন। তার একজন সহকারীর জুতোর প্রয়োজন হলে প্রিন্স ইমোনকে ২০০ পাউন্ড দিয়ে দোকানে পাঠালেন। \"এ যেন অন্য এক জগত।\" আব্দুল্লাহ ইমোনকে বললেন, তার ইউরোপ সফরে সে সঙ্গী হবে কি-না। প্রথমে প্যারিস, তারপর কান, রোম, কায়রো হয়ে রিয়াদে ফেরত। এই সফরে আবদুল্লার স্ত্রী কিছু আসবাব কিনতে চান, আর প্রিন্স চান ইউরোপের কাসিনোতে পয়সা ওড়াতে। ইমোন রাজী হলেন। এক সপ্তাহ পর লিমুজনে চড়ে গেলেন হিথরো বিমানবন্দরে, সৌদি রাজপুত্রের সাথে ইউরোপ সফরের জন্য। ততদিনে ইমোনের সাথে আবদুল্লার অনেকটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিলো। \"আমাদের বোঝাপড়া ছিল দারুণ। সবসময় হাসি ঠাট্টা হতো। অনেক মানুষ যে তার পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রিন্স বিরক্ত থাকতেন। প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে প্রিন্সকে অভ্যর্থনা জানাতে এলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। বিমানবন্দরে যখন সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলছিলেন হাতের একটি ব্যাগ রাখতে দিয়েছিলেন ইমোনকে। এক ঘণ্টা পর হোটেল রুমে ফোন করে ব্যাগটি চাইলেন তিনি। রাজপুত্রের হোটেল রুমে গেলে ব্যাগ খুলে তিনি ইমোনকে দেখালেন ব্যাগের মধ্যে স্তরে স্তরে সাজানো ফরাসী মুদ্রা - ফ্রাঁ। \"অথচ বিমানবন্দরে আমি কিন্তু কফি আনতে গিয়ে এই ব্যাগটি চেয়ারে রেখে গিয়েছিলাম। বোঝেন অবস্থা।\" সৌদি পেশাদার ফুটবলে প্রথম ইউরোপীয় ছিলেন ইমোন ও'কফি। সে রাতে প্যারিসের সেইন নদীতে নৌবিহার এবং সেই সাথে ডিনার সারলেন তারা। দুদিন পর রওয়ানা হলেন কানে। কানে পৌঁছে তারা দুজন একরাতে গেলেন ক্যাসিনোতে। ফেরার পথে হোটেলের লিফটে রাজপুত্র আবদুল্লার ঐ প্রস্তাব - \"ইমোন আমি তোমাকে ভালোবাসি\"। ইমোন বললেন, ঐ কথা শোনার পর তার মনে হয়েছিল লিফটটি খুব যেন ছোটো, অপ্রশস্ত। \"লিফটের দরজা খুলতে ১৫ সেকেন্ড লেগেছিল। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল যেন এক মাস। ভয়ঙ্কর এক শীতলতা এসে ভর করলো।\" ইমোন তার মনোভাব বুঝিয়ে দিলেন - তিনি সমকামী নন, তিনি শুধু ফুটবল খেলতে চান। অন্য কিছু নয়। তারপর পুরো পরিবেশটাই যেন বদলে গেল।। সফর সূচিও বদলে গেল। তিনদিনের বদলে রোমে তারা থাকলেন একদিন। তারপর কায়রোতে না থেমে সোজা রিয়াদে। পরিবেশটা যেন বরফের মতো হয়ে গেল। ইমোন বিব্রত হলেও ভীত হননি। আবদুল্লাহ তাকে বলেছিলেন, তাদের সম্পর্ক এখন শুধু ক্লাব প্রেসিডেন্ট এবং একজন খেলোয়াড়ের মতো হবে।। ইমোন তার কথা বিশ্বাস করেছিলেন। \"এক মুহূর্তের জন্যও আমার মনে হয়নি আমি কোনো বিপদে পড়ে গেছি। আমি ভাবছিলাম আমার সাথে চুক্তি হয়েছে, সুতরাং সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে।\" কিন্তু রিয়াদে ফিরে পরিস্থিতি বদলে গেল। সমকামিতা সৌদি আরবে নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজপরিবারের ক্ষমতা অপরিসীম। ফলে রিয়াদে ফিরে ইমোন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন - যদি প্রিন্স চাপ সৃষ্টি করে। তিনি জর্জকে সব কথা খুলে বললেন। জর্জের কাছ থেকে ভরসা চাইলেন, কিন্তু পেলেন না। \"তুমি একটা গাধা। তুমি মনে করছো ওরা থেমে যাবে।\" জর্জ স্মিথের বয়স এখন ৮৪। এখনও ফুটবলের দিকে নজর রাখেন। তিনি কি এখনও ইমোনকে মনে রেখেছেন। \"অবশ্যই,\" রচডেল থেকে টেলিফোনে তিনি উত্তর দিলেন। \"আমিই তো তাকে ফুটবলার বানিয়েছিলাম।\" আবদুল্লাহর সাথে ইমোনের মাখামাখি নিয়ে তিনি কিছুটা অস্বস্তি- আতঙ্কে ছিলেন। \"আমার মনে হতো তারা খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আমার এই মনোভাবের কথা প্রেসিডেন্টও জানতেন।\" সৌদি আরবের মরুভূমিতে ইমোন ও'কফি। কানের ঘটনা শোনার পর জর্জ ইমোনকে দ্রুত সৌদি আরব ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। \"আমি বুঝতে পারছিলাম সে বিপদে পড়ে গেছে। যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।\" কেমন সেটা? \"ঈশ্বর জানেন। কোনো দুর্ঘটনা বা অন্য কিছু। রাজপরিবারের ইচ্ছা অমান্য করা মহা অপরাধ।\" ভয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেলেন ইমোন। দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্ষমতাবান একজন ব্যক্তির গোপন কথা তিনি জেনে ফেলেছিলেন। জর্জের বাড়ির সোফায় সারারাত তার নির্ঘুম কাটলো। ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু একটি সমস্যা এসে হাজির হলো। সৌদি আরব ছাড়তে হলে তার নিয়োগকর্তার লিখিত অনুমতি লাগে। হঠাৎ ইমোনের মনে হলো সে যেন সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে পড়েছে। পরদিন ইমোন মিথ্যা বলার সিদ্ধান্ত নিল। প্রিন্স আব্দুল্লাহকে গিয়ে সে বললো তার বাবা অসুস্থ। দ্রুত তাকে ইংল্যান্ড যেতে হবে। আব্দুল্লাহ শুনলেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত দিলেন না। বললেন, কাল কথা হবে। পরদিন ফুটবল ক্লাবে আবদুল্লাহর সাথে দেখা করতে গেলেন ইমোন। দরজা বন্ধ করে দিলেন প্রিন্স। কর্মচারীদের বললেন তাদের যেন বিরক্ত না করা হয়। তারপর ইমোনকে জিজ্ঞেস করলেন, \"ফ্রান্সে যা হয়েছিল তার জন্যই কি তুমি দেশে যেতে চাইছো? আমি বিশ্বাস করি না তুমি আর ফিরে আসবে।\" ইমোন যখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, আব্দুল্লাহ একটি কাগজ এবং কলম নিয়ে আরবিতে কিছু লিখলেন। একটি চুক্তিপত্র। ইমোন দেশে যেতে পারবেন, কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের জন্য। শুধু তাকে এই চুক্তিতে সই করতে হবে। ইমোন আরবি পড়তে পারলেন না। ফলে তিনি সই করলেন না। তবে সাথে সাথে একটি বুদ্ধি তার মাথায় এলো। \"আপনি আমাকে সই করতে বলছেন?\" ইমোন জিজ্ঞেস করলেন, \"আরবিতে লেখা এই চুক্তিপত্রে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন? ঠিক আছে তাতে সমস্যা নেই।\" জিমি হিল। তার মধ্যস্ততায় সৌদি এফএ ছাড়পত্র দিয়েছিল ইমোন ও'কফিকে ইমোন পেন হাতে নিলেন এবং সই করতে উদ্যত হলেন। শেষ মুহূর্তে আব্দুল্লাহ পেন ছিনিয়ে নিলেন, কাগজটি ছিঁড়ে ফেললেন। তারপর বললেন, \"আমি তোমার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি।\" ধোঁকা কাজে দিয়েছিল। পরদিন অল্প কিছু কাপড়-চোপড় নিয়ে ইমোন বিমানবন্দরে গেলেন যাতে আব্দুল্লাহ সন্দেহে না করেন যে তিনি একেবারে চলে যাচ্ছেন। তিনি কি তখনও ভয়ে ছিলেন? \"অবশ্যই। কারণ হঠাৎ যদি আব্দুল্লাহ বলে বসেন তুমি যেতে পারবে না। বিমান আকাশে ওড়ার পরও আমি ভয় পাচ্ছিলাম।\" লন্ডনে বিমান নামার পর হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। তবে ইংল্যান্ডে ক্যারিয়ার শুরুটা কঠিন ছিল। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে রেজিস্ট্রি করতে সৌদি আরবের ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিলো। কিছু ছাড়পত্রের বদলে রিয়াদ থেকে তিনি একটি ফ্যাক্স পেলেন। ক্ষতিপূরণ দাবির একটি তালিকা : - চুক্তি ভঙ্গের দায়ে ৯,০০০ সৌদি রিয়াল (বর্তমানে ৮,০০০ পাউন্ডের সম-পরিমাণ) - রিয়াদে তার অ্যাপার্টমেন্টের শীতাতপ যন্ত্র মেরামতের খরচ ১৫০০ রিয়াল - আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ধার নেওয়া ৩০০ পাউন্ড - এক মাসের বেতন ফেরত ইমোনকে পাঠানো জিমি হিলের টেলিগ্রাম। তালিকার এক এবং চার নম্বরটি মানতে রাজী ছিলেন ইমোন। কিন্তু তিনি নিশ্চিত হলেন যে বাকি দাবিগুলো ছিল আবদুল্লাহর প্রতিশোধ। বললেন, শীতাতপ যন্ত্র একদম ঠিক ছিল, এবং তিনি কখনই আবদুল্লাহর কাছ থেকে এক পয়সাও ধার করেননি। ইমোন এফএর সাথে কথা বললেন। এরপর ২২শে নভেম্বর, ১৯৭৬ এ তিনি লন্ডন থেকে একটি টেলিগ্রাম পেলেন। \"জরুরী দরকার, প্লিজ রিং।\" নীচে সৌদি ফুটবলের নতুন প্রধান জিমি হিলের নাম। ১৯৭৬ সালে জিমি হিল ছিলেন ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি বিবিসির প্রধান ফুটবল অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। ইমান তাকে ফোন করলেন। ইমানের বাবা ট্রেড ইউনিয়ন করতেন। তিনি বললেন, কানে কী হয়েছিল তা তিনি ফিফা এবং পুরো বিশ্বকে বলবেন। দুই সপ্তাহ পর, একটি বৈঠকের আয়োজন করা হলো - ইমোন, জর্জের একজন বন্ধু এবং আল হিলাল ক্লাবের একজন প্রতিনিধির মধ্যে। বৈঠকে আল হিলালের প্রতিনিধি কিছুটা ব্যাঙ্গ করে ইমোনকে বললেন, \"আপনি সৌদি আরবে থাকলে আপনার কি এমন হতো?\" \"বিষয়টি যখন আপনার পরিবার নিয়ে, তখন তো ঝুঁকি নেওয়া যায়না,\" শক্ত জবাব দিলেন ইমোন। অনেক তর্ক হয়েছিল ঐ বৈঠকে। এক সপ্তাহ পর ইমোনকে ছাড়পত্র দিলো সৌদি এফএ। তবে ইংল্যান্ডে ফেরার পর আবারো অর্থকষ্ট শুরু হলো ইমোনের। বেতনের টাকা পড়ে ছিল সৌদি ব্যাংক আ্যাকাউন্টে। তা তুলতে পারেননি। বাড়ি বেচতে হলো তাকে। ম্যানচেস্টার ইভনিং পত্রিকায় কাজ নিলেন। পরে সেমি-প্রফেশনাল ক্লাব মসলিতে খেলা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে ইমোন ২৫,০০০ পাউন্ডে এভার্টন ক্লাবে যোগ দেন। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লীগে খেলার সুযোগ হয় তার। এভার্টনের হয়ে প্রথম ডিভিশনে তিনি ২৫টি ম্যাচ খেলেন। পরে উইগ্যান অ্যাথলেটিক্সে যোগ দেন। এরপর আইরিশ রিপাবলিক জাতীয় দলের হয়েও পাঁচটি ম্যাচ খেলেন ইমোন। ইমোন ও'কফি এখনো এভার্টন ক্লাবে খণ্ডকালীন কাজ করেন। সৌদি আরব থেকে চলে আসার পর ফুটবলার হিসাবে তার এই সাফল্যের জন্য আবদুল্লাহকে মনে মনে ক্ষমা করে দিয়েছেন ইমোন। \"কানের লিফটের মধ্যে ঐ ঘটনা যদি না ঘটতো, তাহলে হয়তো আমি সৌদি আরবেই থেকে যেতাম। কখনই আমার এভার্টনের জন্য খেলা হতো না। আয়ারল্যান্ডের জন্য খেলা হতো না।\" প্রিন্স আব্দুল্লাহ ১৯৮১ পর্যন্ত আল হিলালের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ইমোন চলে আসার পর তিনি আরো অনেক বিদেশী ফুটবলার কিনে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের রিভেলিনো খেলেছেন আল হিলালে। ঐ ক্লাব এখন এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব। ইমোনের এই গল্প নিয়ে সৌদি সরকারের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন বা আল হিলাল ফুটবল ক্লাব কেউই কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। প্রিন্স আব্দুল্লাহ সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। কারণ তার মত এমন শত শত রাজপুত্র সৌদি আরবে রয়েছেন। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে সউদের ৪৫ জন ছেলে ছিল। তাদের একজনের সন্তান ছিলেন আব্দুল্লাহ। আল হিলাল ক্লাবের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্য জানা যায় আব্দুল্লাহ বেঁচে নেই। মধ্যপ্রাচ্যের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে তিনি মারা যান। আরবি উইকিপিডিয়ায় তার সম্পর্কে ৪০০ শব্দের একটি বর্ণনা রয়েছে - আবদুল্লাহর তিনজন স্ত্রী এবং সাতটি সন্তান ছিল। ইমোন ও'কিফি আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটি ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব শেষ করে ইংল্যান্ডের চেশায়ার কাউন্সিলে কাজ করেছেন। পরে পর্তুগালে কাটিয়েছেন কিছুদিন। এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন ম্যানচেস্টারে। ২০১৭ সালে তার ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। সেরে উঠছেন এখন। সৌদি রাজপুত্রকে নিজে ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে তিনি ৪০ বছর ধরে খুব একটা মুখ খোলেননি। কিন্তু এখন তিনি চান সৌদি ঐ ক্লাবের সেই সময়কার সহকর্মীরা জানুক কেন তিনি হঠাৎ না বলে কয়ে পালিয়ে এসেছিলেন।", "doc2": "Eamonn O'Keefe, şahzadə Abdullah bin Nasir və onun arvadlarından biri Barracuda restoranında. London - 1976-ci il Zəngin adam şahzadə Abdullah bin Nasirdir: Səudiyyə Ərəbistanı dövlətini yaradan insanın nəvəsi və Ər-Riyad şəhərinin keçmiş qubernatorunun oğlu. Şahzadə olduqca varlı adamdır. Yoxsul adam isə Manchester-dən futbolçu Eamonn O'Keefe-dir, onun Oldham-da bir evi var. Hər ikisi kazinodan qayıdır. Abdullah uduzub - o həmişə uduzur. Bu onun üçün faciə deyil, Səudiyyə şahzadəsi üçün bir neçə min dollar pul - cib xərcidir. Eamonn qumar oynamır, lakin o udub. İki il əvvəl o, Plymouth Argyle komandasının ehtiyat heyətində çıxış edirdi, əli aşağı idi. İndi isə o yalnız zənginlərlə oturub-durur: təyyarədə ən bahalı yerlərdə uçur, beş ulduzlu otellərdə qalır, Avropa boyu zəngin ailələrlə səyahətə çıxır. Liftdə Abdullah üzünü Eamonn-a tutub deyir: \"Sənə nəsə demək istəyirəm\". O, əlini Eamonn-un çiyninə qoyur və deyir: \"Mən hiss edirəm ki, səni sevirəm\". Eamonn, bir qədər əsəbli halda cavab verir: \"Bir qardaş kimi nəzərdə tutursunuz?\" \"Yox, - deyir Abdullah. - Qardaş kimi yox\". Kann şəhərində həmin gün hava olduqca isti idi. Elə həmin gündən də bütün problemlər başladı. Eamonn (qabaqda - soldan) Manchester Boys komandası tərkibində. \"Bu şəkil çəkildikldən 15 dəqiqə sonra ayağım sındı\", - o deyir. İndi 65 yaşında olan Eamonn-un uşaqlıq və gənclik dövrü Britaniyanın müharibədən sonrakı dövrünə təsadüf edib. O, Manchester şəhərinin şimalında, Blackley-də üçotaqlı evdə böyüyüb - üç qardaşı, iki bacısı və iti ilə. Üstəlik, nənələri də onlarla birgə yaşayıb. Görəsən, onların hamısı harada yatıb? \"Hələ də başa düşə bilmirəm\", - Manchester otelində keçmişi yada salan Eamonn deyir. Onun İrlandiya əsilli atası St Clare Catholic futbol klubunun rəhbəri olub. Onun anası klubun camaşır işlərinə baxıb: futbol formalarını yuyub-ütüləyib. Eamonn-un evi parkdan 50 metr aralı idi, odur ki, o, hava qaralanadək futbol oynayırdı. O, əla futbolçu idi: Manchester futbol məktəbində hazırlıq keçmişdi, Manchester United-in gənclər komandasında oynayırdı - o vaxta qədər ki, Altrincham komandası ilə görüşdə ayağı sındı. Beləcə, onun arzusuna - Old Trafford stadionunda oynamaq eşqinə son qoyuldu. Əvəzində isə, o kuryer kimi Manchester Evening News qəzeti redaksiyasına işə qəbul olunaraq işləməyə başladı. Ayağı sağalanda Eamonn yarı-peşəkar futbol klubu olan Stalybridge Celtic komandasında oynamağa başladı. Onun ilk məşqçisi George Smith idi. George Smith keçmişdə özü də futbol oynayıb, xaricdə məşqçilik edib və bu sahədə tanınıb. George əvəllər İslandiyada Stalybridge klubunda işləyib. Bundan sonra o, Səudiyyə Ərəbistanının ən böyük klublarından biri olan Əl-Hilal klubuna keçib. Bir müddətdən sonra Eamonn-da öz klubunu tərk edərək 500 km cənuba tərəf köçdü - Plymouth futbol klubu ilə peşəkar oyunçu kimi kontrakt bağladı. Lakin orada o, yoxsul həyatı sürürdü - qazancı kirayə xərcini qarşılamağa ancaq çatırdı. Eamonn Plymouth klubunda bir futbol mövsumündən də az qaldı. Günlərin bir günü Eamonn məktub alır. Məktubun zərfindəki markanın yazıları isə ərəbcə idi. Eamonn indi də İngiltərənin şimal-qərbində yaşayır və bəzən Manchester-ə baş çəkir. Məktubu George Smith yazmışdı. O, Eamonn-dan xahiş edirdi ki, Eamonn bir aylığa da olsa Səudiyyə Ərəbistanına gəlib oraları görsün. Xoşuna gəlsə və istilərə tab gətirə bilsə, o, Əl-Hilal futbol klubunun ilk avropalı legioneri kimi kontrakt bağlaya bilərdi. \"Noyabr ayı idi. Manchester-də , deyəsən, qar yağırdı, - deyir Eamonn. - Düşündüm ki, heç də pis təklif deyil\". Lakin onu Səudiyyə Ərəbistanına çəkən təkcə hava deyil idi. Eamonn evli idi, onun iki uşağı var idi. O düşünürdü ki, Səudiyyədə iş ona evi ipoteka krediti üzrə borcunu daha tez müddətə ödəyib qurtarmağa imkan verə bilər. O, əvvəlcə Londona yollandı, oradan isə Qahirə və Ciddədən keçərək Səudiyyə Ərəbistanının paytaxtı Ər-Riyad şəhərinə uçdu. Ciddəyə çatdıqda o, artıq anladı kı, fərqli bir aləmə gəlib. Səudiyyə rəsmiləri onun əlindən Sunday Express qəzetini alaraq, oradakı şəkillərdə qadın təsvirlərini elə qayçılayıb doğradılar ki, həmin şəkillərdə yalnız qadınların baş hissəsi qaldı. Bu, hələ harasıdır, Eamonn deyir, onun qonşuluğunda oturan digər bir sərnişinin əlində News of the World qəzeti var idi. Eamonn mədəni şok almaqda davam edirdi. Ər-Riyad aeroportunda George nəhəng Buick avtomobilində oturub onu gözləyirdi. Evdə isə Eamonn Morris Mini balaca bir avtomobil sürürdü. Manchester-də balıqla qızardılmış kartof yeməyi yeyəndə özünü göyün yeddinci qatında hissə edən Eamonn indi Ər-Riyadda beşulduzlu oteldə pulsuz yeyib-içə bilirdi. İngiltərədə yoxsulluq içində yaşayan 22 yaşlı Eamonn indi sanki alternativ bir aləmdə özünü hiss edirdi. Üfüqədək gözü gördüyü qədər uzun palma ağacları, səhra qumu və ya isti hava deyildi - üfüqədək uzanan adı sərvət idi. 1960-cı ildə Opec təşkilatının yaradılması, 1973-cü ilin neft böhranı Səudiyyə Ərəbistanının iqtisadiyyatında bumun başlamasına səbəb oldu. 1970-1980 illərdə ölkə iqtisadiyyatının artımı 3000 faizdən çox oldu. Sözün əsl mənasında Səudiyyə Ərəbistanı neftdə çimirdi, ciddi adamlar isə böyük pullara sahib olmuşdu. Eamonn da onlardan biri ilə görüşməli idi. Eamonn O'Keefe (sağdan ikinci) 1970-ci ildə Əl-Hilal klubunun tərkibində çıxış edib İlk olaraq Eamonn Ər-Riyadda şahzadə Abdullah bin Nasirlə Əl-Hilal klubunun məşqlər üçün ayrılmış stadionunda görüşdü. Eamonn hələ də sınaq dövründə idi, meydançada futbol oynayırdı. Bu zaman klubun prezidenti olan Abdullah göy rəngli Buick avtomobilində stadiona gəlib maşınını saxladı. Eamonn avtomobilin pəncərəsinin şüşəsinin endiyini və Abdullah-ın gözlərinin ona zillədiyini hiss etdi. Bu zaman George Eamonn-a dedi: \"Oradakı o maşını görürsən? Mənim dostumdur - prezidentdir. Sənə kontrakt verilib-verilməyəcəyi ondan asılıdır. Diqqətli ol!\" Bu anda top sağ cinahdan uçub Eamonn-un qabağına gəldi . Eamonn topa tərəf cumub topu qapıya göndərdi. \"Top qapının yuxarı küncünə güllə kimi girdi\", - Eamonn 40 il bundan əvvəl baş verənləri xatırlayır. Beş dəqiqədən sonra top sol cinahdan gəldi. Yenə də Eamonn topa çatıb onun qapının yuxarı küncünə göndərdi. Oyuna yenidən start verilməsini gözləyən zaman George Eamonn-un qulağına pıçıldadı: \"Nəyi nəzərdə tuturdunsa, indi ona daha bir sıfır əlavə et\". Oyundan sonra Eamonn, hələ də tərin içində, şahzadə ilə görüşə getdi. Abdullah ondan oteldən razı qalıb-qalmadığı ilə maraqlandı; Eamonn oteldən razı idi və bunu şahzadəyə bildirdi. \"Onda get otelə və sənə nə lazım olduğunu yaz\", - şahzadə ona dedi. Eamonn və George siyahı tutdular: pul, avtomobil, mənzil, İngiltərəyə uçuşlar, Eammon-un iki uşağı üçün özəl məktəbin təmin olunması. Şahzadə növbəti dəfə məşqlərə gələndə George siyahını Abdullaha təqdim etdi. \"Problem deyil\", - şahzadə dedi. İngiltərədə Eamonn həftədə 40 funt sterlinq qazanırdı, futboldan da əlavə olaraq daha 15 funt gəlirdi. Səudiyyədə isə onun həftəlik qazancı təxminən 140 funt idi - indiki pulla bu, inflyasiyanı da nəzərə alaraq 1,100 funt edir. Və heç bir vergi və hansısa kommunal xərclər ödəmək lazım gəlmirdi. Kontraktını razılaşdırandan sonra Eamonn Manchester-ə qayıdıb, şələ-küləsini yığıb ailəsilə birlikdə Ər-Riyada qayıdır. İlk əvvəl o, ailəsilə oteldə pulsuz qalır. \"Hesablar dəhşətə gətirirdi, lakin heç bir problem heç vaxt yaranmırdı\", - Eamonn deyir. Onun arvadı bankda yüksək maaşı olan işə düzəlir. Əl-Hilal klubunda məşqlər həftədə iki dəfə olduğundan, Eamonn boş vaxtlarını hovuzda keçirir, uşaqlarına baxır, George ilə futbol haqqında söhbət edir. O, həmin dövrü özünün səhrada xoşbəxt günləri kimi xatırlayır. Ən əvvəldən Abdullah Eamonn-u bəyənib. O, Eamonn üçün avtomobil aldı - \"gümüş rəngində Pontiac Ventura\" - və tez-tez onu çay içməyə dəvət edərdi. Onlar futbola böyük ekranı olan televizorda baxardılar və ya Abdullah-ın qardaşları ilə söhbətləşərdilər. Bu, bir qədər qeyri-adi görünsə də - sarışın saçlı ingilis Səudiyyə kral sarayında - Eamonn bu cür vəziyyətdən həzz alırdı. Eamonn gənc və özünə inamlı idi. Səudiyyəlilərin təvazökarlığı isə onun üçün gözlənilməz idi. Müəyyən mənada, Səudiyyə ona doğma Manchester-i xatırladırdı, fərq isə bir onda idi ki, bu ölkəni idarə edənlər onun dostları idi. Futbol meydançasında da Eamonn-un işləri yaxşı gedirdi. Onun komandası Kral kubokunda yarım-finaladək irəliləmişdi. Lakin növbəti mərhələdə cərimə zərbələrində Əl-Nəsr komandasına uduzmuşdu. Səudiyyə Ərəbistanında Eamonn-un xoşlamayan cəhətlər də olub, misal üçün bir dəfə o, maşınında uşaqları ilə ictimai cəza verilən yer olan meydanın yaxınlığından sürüb gedib. Orada isə kimi isə qamçılama ilə cəzalandırırdılar. Amma belə hallar istisna olmaqla Səudiyyədə həyat onun xoşuna gəlirdi. Futbol mövsümü bitəndə O'Keefe-lər İngiltərəyə məzuniyyətə döndülər. Onlar yola düşməkdən əvvəl Abdullah Eamonn-dan onun ev telefon nömrəsini istədi. \"Mən də İngiltərəyə gəlməyi planlaşdırıram, - şahzadə dedi. - Gərək görüşək\". Eamonn Səudiyyə futbolunda ilk avropalı xarici oyunçu olub İgiltərədə üç həftə olduqlarından sonra Abdullah-dan zəng gəldi. Abdullah Eamonn-un anasının evinə zəng etdi, O'Keefe-lər o evdə qalırdılar. Abdullah zəng edəndə Eamonn evdə olmayıb, odur ki, şahzadə ilə onun anası danışıb. Bundan sonra Eamonn Abdullaha zəng edib - şahzadənin Londonda qaldığı Carlton Tower otelinə. İki gündən sonra Eamonn qatarla Euston vağzalına gəlir. Onu orada sürücü qarşılayır. Londonda Eamonn yenidən Səudiyyə pullarının gen-bolluğunu görür. O, şahzadənin altı ədəd Cecil Gee kostymu aldığının şahidi olur, Grosvenor otelində ağəlcəkli adamın tualet kabinlərinin yanında niyə durduğundan təəccüblənir (\"Onlar axı, ayaqyoluna getməyə kömək etmirlər, yoxsa edilər?\") Abdullah-ın köməkçilərindən birinə yeni ayaqqabı lazım olanda, Eamonn-a 200 funt verib bir cüt ayaqqabı almağa göndərdilər. O, Marks&Spencer-ə gedib oradan qayıdanda da 150 funt pulu qaytarıb. \"Fərqli aləmdir\", - Eamonn deyir. Bundan bir qədər sonra həmin köməkçi Ər-Riyada döndü. Odur ki, Abdullah Eamonn-dan soruşdu ki, onun Avropa səfərində həmin köməkçini əvəzləmək istəyirmi. Səyahətin növbəti məntəqələri Paris, Kann, Roma, sonra isə Qahirə və nəhayət Səudiyyə olmalı idi. Abdullah-ın arvadı mebel almaq istəyirdi; şahzadə isə Avropa kazinolarında qumar oynamaq həvəsində idi. Eamonn-un arvadı və uşaqları qaynanası ilə Uelsə getməyə hazırlaşırdılar. Artıq bir həftədən sonra Eamonn Heathrow aeroportunda səfərə hazır vəziyyətdə idi. Səudiyyəli şahzadə ilə Blackley-dən olan Eamonn arasında dostluq münasibətləri quruldu. \"Aramızda əla münasibətlər var idi; bütün vaxtımız deyib-gülərək keçirirdik, - Eamonn deyir. - Mənə elə gəlir ki, o, yaltaqlanan ətrafından bezmişdir\". Parisin Charles de Gaulle aeroportunda Səudiyyə şahzadəsini və onu müşayiət edən adamları səfir qarşılamışdı. \"Avtomobillərin üzərində bayraqlar sancılmışdı\", - Eamonn deyir. Abdullah görüşlər keçirən zaman Eamonn-a qorumaq üçün çanta verdi. Eamonn qəhvə və şokolad götürüb onu VIP zonada gözlədi və axırda çanta ilə birlikdə Parisə aparıldı. Bir saatdan sonra onun otel otağında telefon zəng çaldı. Abdullah çantanı soruşdu, odur ki, Eamonn aşağı, onun otağına düşdü ki şahzadənin çantasını ona çatdırsın. Şahzadə çantanın qıfıllarını açdı və Eamonn-a çantanın içindəkini göstərdi: minlərlə və minlərlə Fransa frankı. \"Belə çantaları bəzən televiziya filmlərində görmək olur - içi pulla dolu çanta, - Eamonn deyir - Qəhvə alanda mən onu oturacaqda qoyub getdim. İtirsəydim təsəvvür edirsən nə olacaqdı?\" Həmin gecə Eamonn Sena çayında dibi şüşədən olan qayıqda nahar etdi, sonra otelin eyvanından şəhərə seyr edib şirin yuxuya getdi. Lakin həmin o şirin yuxu uzun çəkmədi. İki gündən sonra onlar Kann şəhərinə uçub kazinoya getdilər və yuxarıda qeyd olunmuş liftə girdilər. Eamonn və onun Səudiyyədəki avtomobili. Abdullah öz etirafını ona etdikdən sonra, Eamonn xatırlayır ki, liftin içərisi sanki ona dar görsəndi. Şahzadə ona hislərini açdığına görə Eamonn da ona öz sözünü açıq dedi. O, gey deyildi. Eamonn futbolçu idi, vəssalam. Liftin qapıları açılanadək Eamonn-a elə gəldi ki, 15 saniyə bir ay çəkdi. \"Dəhşətli soyuqluq yaranmışdı\", - o xatırlayır. Həmin anda onun üçün səyahət başa çatdı. Vəziyyət dəyişdi, marşrut da dəyişdi. Romada üç gün əvəzinə onlar cəmi bir gün qaldılar. Qahirədə dayanmaq əvəzinə birbaşa Ər-Riyada gəldilər. \"Sanki bir buz əmələ gəlmişdi\", - Eamonn xatırlayır. Eamonn pərt olsa da, narahat deyildi. Liftdə Abdullah ona demişdi ki, onların münasibətləri \"prezident və oyunçu\" halına qayıdacaq və Eamonn ona inanmışdı. \"Mənim ağlıma belə gəlmirdi ki, mən təhlükədəyəm, - o deyir. - Mənim əlimdə kontraktım var idi, münasibətlər normal vəziyyətinə gəlməli idi\". Ər-Riyada qayıtdıqdan sonra vəziyyət dəyişdi. Səudiyyə Ərəbistanında homoseksuallıq qeyri-qanunidir, kral ailəsinin gücü isə ölçüsüzdür. Eamonn Abdullah-ın sirrini açan deyildi - bəs Abdullah necə, ona təzyiq göstərmək istəyərdimi? Eamonn özünü narahat hiss edirdi, təlaş, bəlkə də, paranoya hissi keçirirdi. O, əhvalatı George-a danışmaq istədi ki, bir rahatlıq tapsın. Lakin ürəyini ona açandan sonra da rahatlıq tapmadı. \"Ay axmaq, onlar bunu belə qoymayacaqlar\", - George dedi. Rochdale-də yaşayan George Smith-in indi 84 yaşı var; o hələ də futbolu izləyir və məşqçi karyerasında baş verənləri bəzən xatırlayır. George xatirəsində Eamonn qalıb. O, Eamonn şahzadə ilə Avropaya səfərə çıxandan da əvvəl bir qədər narahat idi. O hesab edir ki, Eamonn Abdullah ilə birgə həddindən artıq çox vaxt keçiridi, digər tərəfdən də, Abdullah Eamonn üçün olduqca çox pul xərcləyirdi. George Kann şəhərində baş verən hadisə barədə eşidəndə Eamonn-a Səudiyyəni tərk etməyi məsləhət gördü. \"Hər şey ola bilər\", - o deyir. Eamonn ölkənin ən yüksək rütbəli şəxslərindən biri barədə sirr bilirdi və bu, onun üçün təhlükəli vəziyyət yaradırdı. Onun 22 yaşı var idi və o, qorxu hissi keçirirdi. Onun ailəsi İngiltərədə idi və onların geri dönməsini o istəmirdi. Lakin ölkəni tərk etmək üçün lazım olan vizanın alınması şahzadə Abdullahdan asılı idi. Jimmy Hill Eamonn-a Səudiyyə kontraktından azad olmağa köməklik etmişdi. Eamonn yalan danışmaq qərarına gəlir. O, Abdullaha deyir ki, atası xəstədir və bu səbəbdən İngiltərəyə getməlidir. Şahzadə onu sorğu-suala tutur. \"Bu, Fransaya görədirmi? - şahzadə soruşur. - Mən inanmıram ki, sən geri qayıdacaqsan\". Eamonn Abdullah-ı düz danışdığına inandırmağa çalışır. Şahzadə qələm və kağız götürüb ərəbcə bir mətn yazır. Kağızdakı yazıda deyilir ki, Eamonn evə qayıda bilər, lakin yalnız bir həftəliyə. Abdullah həmin kağızı Eamonna imazalamaq üçün uzadır. Eamonn ərəbcə bilmədiyindən həmin kağıza imza atmaq istəmir. Son anda o, bir fənn işlədir. \"Mən ərəbcə oxuya bilmirəm, amma sizə inanıb bu kağıza imza atmalıyam - lakin siz mənə inanmırsınız, nə olar ki, qoy, olsun\", - Eamon deyərək əlini qələmə uzadır. Bu sözlərdən sonra yazdığı kağızı götürüb cırır və səbətə atır. Sabahısı gün Eamonn aeroporta gəlir. Təyyarəsi Londonda endikdən sonra Eamonn sevinc hissi keçirir, lakin onun problemləri bitmir. İngiltərədə futbolçu karyerasını davam etdirmək üçün Eamonn İngiltərə Futbol Assosiyasında qeydiyyatdan keçməli idi. Bunun üçün isə o, Səudiyyə Ərəbistanı ilə haqq-hesabı yekunlaşdırmalı idi. Səudiyyə tərəfi ona ödənməsi tələb olunan böyük miqdarda hesab göndərdi. Eamonn hiss edirdi ki, təqdim olunmuş böyük pul məbləği Abdullahın ona qarşı qisasıdır. 1976-cı il noyabrın 22-də Eamonn-a Londondan teleqram gəldi: Səudiyyə futbolunun yeni başçısı Jimmy Hill təcili olaraq zəng etməyi xahiş edirdi. Jimmy Hill-in Eamonn-a gödərdiyi teleqram 1976-cı ildə Jimmy Hill İngiltərə futbolunun ən tanınan simalarından biri idi. Tələb olunduğu kimi Eamonn Jimmy Hill-ə zəng vurdu. Eamonn-un atası həmkarlar ittifaqının fəalı Fifa-ya dedi ki, Kannda baş verənlər barədə dünyanı agah etməyə hazırdır. Bundan iki həftə sonra Altrincham-da George və Eamonn-un tanışı olan Əl-Hilal nümayəndəsi ilə Eamonn arasında görüş keçirildi. \"Mən ailəmi təhlükə altına sala bilmərəm\", - həmin görüşdə Eamonn bütün ciddiyyətlə bildirdi. Mübahisələr içində keçən görüşdən bir həftə sonra Səudiyyə tərəfi nəhayət Eamonn-a tələb olunan sənədləri göndərdi. Beləliklə, Eamonn-un Səudiyyə macəraları sona çatdı. Eamonn Britaniyada öz futbol karyerasını bərpa etdi və hətta bir ara İrlandiya yığmasında çıxış etdi. Şimali İrlandiya komandasının bu heyətində o, 9 nömrə altında çıxış edib. İngiltərəyə qayıtdıqdan sonra Eamonn yarı-peşəkar Mossley futbol klubunda çıxış etməyə başladı. 1979-cu ildə Eamonn Everton klubuna keçdi. Onun bu klubda kontraktının dəyəri 25000 funt təşkil edirdi. O eləcə də 1985-ci ilədək beş dəfə İrlandiya Respublikası yığmasının tərkibində çıxış edib, o cümlədən, Wembley stadionunda İngiltərə yığmasına qarşı matçda da iştirak edib. Eamonn indi təqaüdə çıxıb, Manchester yaxınlığında yaşayır, ara-bir Everton klubunda da işləyir. Abdullah 1981-ci ilədək Əl-Hilalın prezidenti olub. Eamonn-dan sonra onun klubuna Braziliyanın məşhur futboçusu, Dünya Kubokunun qalibi Rivellino gəlib. Bu klub indi Asiyanın ən güclü futbol klublarından biri sayılır. Səudiyyə hökumətinin nəzdində olan Beynəlxalq Əlaqələr Mərkəzi və Əl-Hilal futbol klubu Eamonn-un əhvalatı barədə şərh verməkdən imtina ediblər. Şahzadənin indiki durumu barədə çox az məlumdur - axı, o, yüzlərlə şahzadələrdən biridir. Abdullahın babası - İbn Səud ölkəni quranlardan biridir - onun 45 oğlu olub. Abdullah onlardan birinin oğludur. Səudiyyə ekspertlərindən biri BBC-yə bunları deyib: \"Onlar çox qapalı həyat sürürlər, araşdırmaçı mətbuata qarşıdırlar\". Səudiyyə hökuməti Abdullahın sağ olub-olmadığını bildirməyib, lakin Əl-Hilal vebsaytı onun öldüyünü güman edir. Yaxın Şərq jurnalisti BBC-yə bildirib ki, o, 2007-ci ildə vəfat edib, daha bir jurnalist onun ehtimalən 2006-cı ildə öldüyünü qeyd edib. Ərəbcə Wikipedia səhifəsinin yazdığına görə, Abdullah-ın üç arvadı və yeddi övladı olub. Eamonn hazırda təqaüddədir və Manchester yaxınlığında yaşayır. O, 2017-ci ildə xərçəngdən müalicə olunub və hazırda vəziyyəti yaxşılaşır. O, ara-bir Everton klubuna baş çəkir, karyerasına aid xatirələrilə bölüşür. Uzun illər ərzində Səudiyyə barədə danışmaqdan çəkinib, nə vaxtsa yaşadığı travmanı təzələmək istəməyib. Lakin indi, həmin hadisələrin üstündən 40 il keçdikdən sonra o, bu barədə danışmağa hazırdır. Ən çox istədiyi odur ki, Səudiyyədəki komanda yoldaşları onun klubdan ayrılmasının səbəblərini bilsinlər. \"Səudiyyədə keçirdiyim vaxtı xatırlamağı xoşlayıram - o cür həyatı necə sevməyəsən? - o deyir. - Hər şey inanılmaz dərəcədə yaxşı idi. Biz orada hamımız xoşbəxt idik\". Səkkiz il bundan əvvəl Eamonn avtobioqrafiya kitabını yazıb. Kitabın adı Eamonn-un futbola başladığı St Clare's Catholic klubundan Səudiyyə macəralarınadək ömür yolunu çox dəqiq tərzdə əks etdirir: Məni İstədiyim Yalnız Futbol Oynamaq idi. Fotoların müəllifi: Jon Parker Lee"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50020308", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region/2015/09/150930_putin_army_abroad_parliament", "doc1": "উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি অবস্থানগুলোর ওপর তুর্কি বাহিনীর বোমাবর্ষণ ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর ওপর বোমা পড়ছে, ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠে আকাশে। ইতিমধ্যেই খবর আসছে শিশুসহ বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে এসব আক্রমণে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। কারণ এখানে পেছন থেকে খেলছে অনেক রকম শক্তি। তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে পরস্পরবিরোধী স্বার্থ। তুরস্কের প্রকাশ্যে ঘোষিত লক্ষ্য: উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের তাড়ানো এবং সেখানে তাদের ভাষায় একটা 'নিরাপদ এলাকা' প্রতিষ্ঠা - যেখানে বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানদের বসতি প্রতিষ্ঠা করা যায়। কিন্তু মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী যখন সিরিয়ার মাটিতে নেমে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল, তখন তাদের সহযোগী ছিল এই কুর্দি যোদ্ধারাই। অনেকের আশংকা, তুরস্ক যেভাবে অভিযান চালিয়ে কুর্দি মিলিশিয়াদের তাড়িয়ে দিচ্ছে - তাতে হয়তো সিরিয়ায় জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের নতুন করে উত্থান ঘটতে পারে। সত্যি কি তাই হতে পারে? বিবিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন, হ্যাঁ, এটা খুবই সম্ভব। অন্তত সীমিত অর্থে হলেও ইসলামিক স্টেট বা আল-কায়েদার মতো সংগঠনের পুনরুত্থান হতেই পারে। এটা মনে করার কারণ হলো: ইসলামিক স্টেট বা আল-কায়েদার মতো সংগঠনগুলো বিকশিত হয় বিশৃঙ্খলা এবং গোলমালের মধ্যে। ইরাক ও সিরিয়ার অনেকগুলো শহর দখল করে নিয়েছিল ইসলামিক স্টেট উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান একটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় ঠিক একরমই একটা পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি করেছে। তবে এরকম ঝুঁকি বাস্তবে পরিণত হবে কিনা তা নির্ভর করে তিনটি ব্যাপারের ওপর। এক. সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান কত ব্যাপক হয়। দুই. অভিযান কতদিন ধরে চলে, এবং তিন. তার তীব্রতা কতটা হয়। জিহাদি বাহিনী আইএস এবং তাদের স্বঘোষিত খেলাফত কার্যত: সম্পূর্ণ উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল এ বছরই। মার্চ মাসে বাঘুজের যুদ্ধে পরাজয়ের পর তাদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ যে ভূখন্ডটিও হারায়। কিন্তু তাদের হাজার হাজার যোদ্ধা এখনো জীবিত, এবং তাদের সবাই যে প্রতিপক্ষের হাতে বন্দী - তাও নয়। সিরিয়ার কোন এলাকা এখন কার নিয়ন্ত্রণে আইএস বলেছিল, তারা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যাবে, এবং একের পর এক চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালিয়ে তাদের শত্রুদের পরাজিত করবে। এমনি একটি বোমা হামলাই তারা চালিয়েছে তাদের এক সময়ের 'রাজধানী' রাক্কা শহরে, এ সপ্তাহেই। ইসলামিক স্টেটকে ঠেকিয়ে রেখেছিল আমেরিকানরা এবং কুর্দি যোদ্ধারা উত্তর পূর্ব সিরিয়া এক সময় ছিল আইএসের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু তাদের উত্থানকে ঠেকিয়ে রেখেছিল কুর্দিপ্রধান সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ মিলিশিয়া, এবং তাদের সমর্থন দানকারী মার্কিন বিশেষ বাহিনী। তখন তাদের হাতে ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। আইএস-বিরোধী যুদ্ধে এসডিএফের যোদ্ধারা শুধু তাই নয়, আইএসের পরাজয়ের পর তাদের প্রায় হাজার হাজার যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে যেসব শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে - সেগুলো পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণও করে এই কুর্দি মিলিশিয়ারা। এখানে বহু দেশ থেকে আসা আইএস যোদ্ধারা আটক আছে - যাদের ফেরত নিতে ওই সব দেশ একেবারেই অনাগ্রহী। কিন্তু তুরস্কের বাহিনীর আক্রমণের মুখে কুর্দি যোদ্ধাদের প্রধান কাজ হবে আত্মরক্ষা এবং পাল্টা আক্রমণ। আইএস যোদ্ধাদের কারাগার পাহারা দেয়াটা তাদের একটা গৌণ কাজ হয়ে পড়বে। ফলে এখানে এখন দু'রকম ঘটনা ঘটতে পারে। কারা বিদ্রোহ? সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো আইএস যোদ্ধারা একটা কারা-বিদ্রোহ ঘটিয়ে ফেলতে পারে, জেল ভেঙে বেরিয়ে যেতে পারে। এসডিএফের পরিচালিত কারাগারগুলোয় আটক আছে আনুমানিক ১২,০০০ ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা। এদের অনেকেই হয়তো নিজ হাতে শিরশ্ছেদ করেছে, লোকজনকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে, অনেকের হাত-পা কেটে দিয়েছে। অন্যরা নিজে এসব না করলেও তা নিজের চোখে দেখেছে। অনেকেই আছে যারা সামরিক আক্রমণ পরিকল্পনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। হাজার হাজার আইএস যোদ্ধা কুর্দি মিলিশিয়াদের হাতে বন্দী পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশংকা, এই আইএস যোদ্ধারা আটকাবস্থা থেকে বেরুতে পারলে তাদের অনেকে হয়তো নানা পথ দিয়ে ইউরোপে বা অন্যত্র তাদের মূল দেশে চলে আসবে - এবং লন্ডন, প্যারিস বা বার্সেলোনার ঘটনার মতো বড় আকারের আক্রমণের পরিকল্পনা শুরু করবে। এখন এ জন্য পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারে না। কারণ, ২০১৪-২০১৯ সালে ৭০টি দেশকে নিয়ে গঠিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন এক কঠিন যুদ্ধের পর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছিল। কিন্তু বন্দী যোদ্ধাদের কিভাবে বিচার করা হবে তার জন্য কোন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত পন্থা নেই। অবশ্য তুরস্ক সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেবার পরই কিছু বন্দীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে । এর মধ্যে আছে আল-শফি আল-শেখ এবং আলেক্সান্ডর কোটে - যারা ব্রিটিশ এবং এ কারণে তাদের বিটলস বলে ডাকা হতো আইএসের মধ্যে। অন্যদিকে, নারীদের শিবিরগুলো ভর্তি হয়ে আছে আইএস সমর্থক এবং 'নৈতিকতা রক্ষক' বাহিনী 'হিসবাহ'-র সাবেক সদস্যদের দিয়ে। তারা বন্দী শিবিরের মধ্যেই তাদের প্রিয়ভাজন নয় এমন লোকদেরকে নিয়মিত চাবুক মারা এবং তাঁবু পুড়িয়ে দেয়ার মতো কঠোর শাস্তি দিচ্ছে। আল-হলের শিবির: বহু আইএস যোদ্ধার পরিবার আছে এই শিবিরে এই শিবিরগুলোর অবস্থান হচ্ছে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে, সিরিয়ার ঠিক ভেতরে। তুরস্ক ঠিক এই জায়গাটিই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এ ছাড়া আইএস যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য আছে প্রায় ৭০ হাজার - যাদের রাখা হয়েছে অন্য অনেকগুলো শিবিরে - যার একটি আছে আল-হলে। দ্বিতীয় ভয়: আইএসের পুনরুত্থান? ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সবচেয়ে তীব্র যুদ্ধ চালিয়েছে প্রধানত এসডিএফের কুর্দি যোদ্ধারা। এ ছাড়াও উত্তর সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের পাঁচ বছরব্যাপী খেলাফত অবসানের পেছনে আরো অনেকের ভুমিকা আছে, যার মধ্যে আছে পশ্চিমা বিশেষ বাহিনী এবং এমনকি ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা। কিন্তু এখন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্ক যদি সামরিক অভিযান চালিয়ে কুর্দিদের তাড়িয়ে দেয়, তাহলে বন্দী আইএস যোদ্ধাদের পাহারা দেবে কে? কারণ কুর্দিরা এখন তুর্কি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধ এবং তাদের বিমান হামলা থেকে আত্মরক্ষাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তারা আর আইএসের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন শক্তি হয়ে উঠতে পারবে না। পশ্চিমারাও তার জায়গা নিতে অনিচ্ছুক। ফলে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর জন্য এটা এক সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। তাদের পলাতক নেতৃত্ব এতদিন মাঝে মাঝে পুনরুত্থানের ঘোষণা দিত। প্রতিবেশী ইরাকে গত বেশ কিছুকাল ধরেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে আইএস নতুন করে আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং ইরাকি সরকারের ওপর ছোটখাটো আক্রমণ চালাচ্ছে। বাগুজে লড়াইয়ের পর ধরা পড়া আইএস যোদ্ধাদের একটি দল কোন এলাকায় যখন সরকার বা প্রশাসন ভেঙে পড়ে বা দুর্বল হয়ে যায় - তখনই জিহাদি গোষ্ঠীগুলো সেখানে তাদের তৎপরতা বাড়াতে পারে। সোমালিয়া, ইয়েমেন, পশ্চিম আফ্রিকা, এবং ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অংশে তাই হয়েছে। সিরিয়া-ইরাক ও তুরস্ক সীমান্তের এই জায়গাটিতে অস্থিতিশীল অবস্থা আগামী বেশ কিছুকাল জারি থাকবে বলেই মনে হয়। আইএসের পুনরুত্থান: কতটা সম্ভব? একটা কথা বলা দরকার, আইএসের পুনরুত্থানের যে কথা বলা হচ্ছে তা হয়তো না-ও হতে পারে। তুরস্কে সিরিয়ার ভেতরে অভিযান শুরুর পর থেকেই হোয়াইট হাউজ থেকে নানা রকম বার্তা আসছে। হয়তো এটা তুরস্ককে সিরিয়ার খুব বেশি ভেতর পর্যন্ত অভিযান চালানো থেকে বিরত রাখতে পারে। হয়তো তার অভিযান হবে সীমিত আকারের। হয়তো, প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে যাবার পর দেখা যাবে, এ অভিযানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই কোণাটিতে একটা নতুন বাস্তবতার উন্মেষ ঘটবে। কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযান? মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিয়ে এই সেদিন পর্যন্ত এই পুরো এলাকাটিই নিয়ন্ত্রণ করতো কুর্দি যোদ্ধারা। তাদেরকে তুরস্কের বিশাল সামরিক বাহিনীর আক্রমণের মুখে ফেলে রেখে মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চান না যে আমেরিকান সৈন্যরা দেশের বাইরে কোন 'অন্তহীন' 'অপ্রয়োজনীয়' যুদ্ধে জড়িত থাকুক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ফিরে আসছে আইএস? বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট রাস আল-আইন থেকে পালাচ্ছেন কুর্দিরা ২০১৮ সালে তুরস্ক যখন পশ্চিমদিকের কুর্দিপ্রধান এলাকা আফরিনে অভিযান চালিয়েছিল, তখন বাস্তুচ্যুত হয়েছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার লোক। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানেও ঠিক একইভাবে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তবর্তী শহরগুলো থেকে হাজার হাজার লোক পালাতে শুরু করছে। কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কী জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালানো হতে পারে? বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা পল এ্যাডামস বলছেন, সেরকম সম্ভাবনা সত্যি আছে। কেন? তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, উত্তর পূর্ব সিরিয়া জনগোষ্ঠীগতভাবে মিশ্র একটি এলাকা। এখানে কিছু এলাকায় কুর্দিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্য কিছু এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে সুন্নি আরবদের। আর অন্য কিছু এলাকাও আছে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেরা হচ্ছে খ্রীষ্টান। ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা একসময় দখল করে নিয়েছিল আইএস এখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান চাইছেন, সীমান্ত থেকে সিরিয়ার ভেতরে ২০ মাইল পর্যন্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে সিরিয়ান বাস্তুচ্যুত লোকদের বসতি গড়ে তুলতে। তিনি যদি সত্যি ২০ লাখ পর্যন্ত সিরিয়ান শরণার্থীকে এখানে বসতি স্থাপন করাতে সক্ষম হন - তাহলে এই এলাকার জনসংখ্যার অনুপাতই বদলে যাবে। মি. এরদোয়ান বলেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে এ অঞ্চলের জনসংখ্যার অনুপাত আগে যে রকম ছিল - তা পুন:প্রতিষ্ঠা করতে, যাতে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ানদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়। এই ওয়াইপিজি তাহলে কারা? ওয়াইপিজি হচ্ছে সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ এসডিএফ অর্থাৎ সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স নামে একটি মিলিশিয়া জোটের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য। রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান এসডিএফ জোটে কুর্দি এবং আরব উভয় ধরণের মিলিশিয়া গোষ্ঠীই আছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী যখন সিরিয়ার মাটিতে নেমে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল - তখন তাদের তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল এই এসডিএফ। কিন্তু তুরস্কের বিশাল সশস্ত্রবাহিনীর মোকাবিলা করার মতো ভারী মেশিনগান, বিমান-বিধ্বংসী কামান বা ট্যাংক ধ্বংসকারী অস্ত্র তাদের নেই। মি. এরদোয়ানের হিসেবটা হচ্ছে, সীমান্তে সিরিয়ান কুর্দি ওয়াইপিজি সংগঠনের মিলিশিয়ারা আছে তাদের দূরে ঠেলে দেয়া - কারণ ওয়াইপিজি তার চোখে কুর্দি স্বায়ত্বশাসনের সমর্থক পিকেকের একটা শাখা। মনে রাখতে হবে, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন - সবাই পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াইপিজি অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে। তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কুর্দিদের বিক্ষোভ তারা এরদোয়ানকেও একজন 'মিথ্যেবাদী' মনে করে। তাদের মতে মি. এরদোয়ানের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে কুর্দিদের নিশ্চিহ্ন করা। বন্দী আইএস যোদ্ধাদের নিজ দেশে নেয়া হচ্ছে না কেন? সোজা উত্তর: আইএস যোদ্ধাদের নিজ নিজ দেশগুলোই তাদের নিতে চায় না। বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছে - যেন তারা ইউরোপ থেকে আসা আইএস যোদ্ধাদের নিয়ে যায়। আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো অনিচ্ছুক, কারণ এদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার করার অনেক সমস্যা আছে। আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ অনেক ক্ষেত্রেই নেই। ভয় হলো, তখন হয়তো বাধ্য হয়ে তাদের ছেড়ে দিতে হবে। মি. ট্রাম্প যে কুর্দিদের পরিত্যাগ করছেন, এরই বা কারণ কী? বিবিসির পল এ্যাডামস বলছেন, মি. ট্রাম্পের হিসেবটা খুবই সোজা। তার কথা অনুযায়ী, মার্কিন-কুর্দি জোট গঠিত হয়েছিল আইএসকে পরাজিত করার জন্য। সে কাজ হয়ে গেছে, এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আমেরিকার আর কোন কাজ নেই। অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু জেনারেলও এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। কুর্দিরা ছড়িয়ে আছে সিরিয়া, তুরস্ক, ইরাক ও ইরান - এই চারটি দেশে। কুর্দি নেতারাও এটা বোঝেন যে এই দেশ চারটির রাজনীতি এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর নিজস্ব হিসেব-নিকেশের কাছে অবধারিতভাবেই কুর্দিদের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে। আইএসের পুনরুত্থান ঘটলে তার দায় কে নেবে? তাহলে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ এখন যদি সিরিয়ায় আইএস নতুন করে সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে - তাহলে তার দায় কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বর্তায় না? পল এ্যাডামস বলছেন, এ কথা কুর্দিরাও তুলছে, তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাব্লিকান পার্টির অনেক নেতাও। ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু মি. ট্রাম্প মনে করেন, আইএস 'শেষ হয়ে গেছে।' যদিও খুব কম লোকই তার সাথে একমত। প্রশ্ন ওঠে, ইসলামিক স্টেটের মতো একটি ধর্মীয় আদর্শভিত্তিক দল বা একটি আদর্শ কি একটা যুদ্ধে হারলেই 'শেষ হয়ে' যেতে পারে? এর কোনো সহজ উত্তর নেই। কিন্তু এটা ঠিক যে আইএস যদি সত্যিই আবার ফিরে আসতে পারে - তাহলে ডোনাল্ড ট্রাস্প এর জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে খেলাফতের পর আইএসের ভবিষ্যৎ কী কোথায় লুকিয়ে আছেন আইএস নেতা আল-বাগদাদী? সিরিয়াতে কেমন ছিল আই এস দম্পতির জীবন ইসলামিক স্টেট কোথা থেকে অর্থ পায়?", "doc2": "Rusiya hərbi aviasiyasını Suriyaya göndərib Rusiya müdafiə rəsmilərinin bildirdiyinə görə, hava zərbələri İslam Dövləti (İD) qruplaşmasını hədəf alıb, lakin adı açıqlanmayan ABŞ rəsmisi Reuters xəbər agentliyinə bildirib ki, onların hələ İD nəzarətində olan əraziləri bombalaması qeydə alınmayıb. ABŞ rəsmilərinə görə, Rusiya, güman edildiyi kimi, Suriyada prezident Bəşər əl-Əsədin opponentlərinə havadan zərbələr endirməyə başlayıb. Onlar zərbələrin Homs şəhəri yerləşən əraziyə vurulduğunu bildirərək Vaşinqtonun əvvəlcədən bu barədə məlumatlandırıldığını qeyd edib. Bundan əvvəl, prezident Əsədin xahişilə Rusiya hərbi aviasiyasının Suriyaya yollandığı xəbəri yayılmışdı. Bu qərar Rusiya parlamentinin yuxarı palatasının icazəsilə qəbul edilmişdi. Prezident Vladimir Putin Federasiya Şurasından ordunun Suriyada istifadəsinə icazə istədikdən sonra Rusiya parlamentinin yuxarı palatası prezidentin müraciətini təmin edib. Prezident adnimistrasiyasının rəhbəri Sergey İvanovun bildirdiyinə görə, Suriya prezidenti Bəşər əl-Əsəd cənab Putinə müraciət edərək hərbi dəstək xahiş etmişdi. \"Söhbət yalnız İD ekstremist qruplaşması əleyhinə Suriya ordusunun əməliyyatlarına Rusiya hərbi qüvvələrinin dəstəyindən gedir\", cənab İvanov əlavə edib. Federasiya Şurası buna icazə verməyə yekdilliklə səs verib. Senatorlar bu məsələyə mətbuat üçün bağlı qapılar rejimində baxıblar. Konstitusiyaya əsasən, Rusiya Federasiyası ordusunun xaricdə istifadə olunması barədə qərar parlamentin yuxarı palatası tərəfindən verilə bilər. Bu barədə təklifi isə hökumət başçısı tərəfindən irəli sürülür. 2014-cü ilin mart ayında Federasiya Şurası yekdilliklə səs verərək Prezidentin Ukraynada silahlı qüvvələrdən istifadə etmək təklifini dəstəkləmişdi. Nəticədə Rusiya Krımı ilhaq etmişdi. Sentyabr ayının ortasında Amerika ordusu bildirib ki, onlarda olan məlumata görə, Bəşər əl-Əsədin istehkamı olan Latakiya şəhərində Rusiya hərbi bazasını qurur. İnterfax agentliyinin məlumatına görə, Bağdadda Rusiya, Suriya, İraq və İran hərbi nümayəndələrinin iştirakı ilə İD qruplaşmasına qarşı mübarizənin informasiya əlaqələndirilməsi üzrə mərkəz artıq fəaliyyət göstərməyə başlayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51971212", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/51655412", "doc1": "মসজিদ আল হারাম চত্বরে নামাজ পড়া স্থগিত করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ সৌদি গেজেট পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাবা এবং মসজিদে নববীর বাইরের চত্বরে নামাজ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আজ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই পদেক্ষপ সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মক্কা এবং মদিনার এই দুই মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়টিকে কিছুটা সীমিত করা হলো। দুবাই-ভিত্তিক গালফ নিউজ জানিয়েছে, মসজিদ চত্ত্বরে প্রতিদিনের নামাজের পাশাপাশি জুমার নামাজও স্থগিত করা হয়েছে। মসজিদ আল হারাম এবং মসজিদে নববী ব্যতীত সৌদি আরবের বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া স্থগিত করে গত মঙ্গলবার নির্দেশ জারি করেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যেসব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য সবাইকে আহবান জানিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবে এখনো পর্যন্ত ২৭৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরা প্রতিরোধ করতে সতর্কতা হিসেবে বিদেশীদের জন্য ওমরাহ করার সুবিধা স্থগিত করে সৌদি আরব। এছাড়া পর্যটন ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ না করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববী তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি পবিত্র নগরী মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মস্থান অন্যতম পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত মক্কায়, আর তাঁর কবর মদিনা শহরে। তাই মদিনায়ও প্রচুর মুসলমান ভ্রমণ করেন ধর্মীয় কারণে। করোনাভাইরাস: 'লকডাউন' করা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতে 'জনতা কারফিউ' করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে মসজিদে নামাজ নিয়ে কী হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস", "doc2": "Hər il milyonlarla zəvvar bəlli bir vaxt ərzində bu ölkəyə Həcc ziyarətinə, ilin müxtəlif vaxtlarında isə bir çox zəvvar da Ümrə ziyarətinə gedir. Xarici ziyarətçilərin ölkəyə buraxılmaması iyulun sonlarında başlayacaq Həcc ziyarətinə təsir edib-etməyəcəyi məlum deyil. Səudiyyə Ərəbistanı koronavirusun yeni yayıldığı ölkələrdən gələn qonaqlara da maneə yaradıb. Səudiyyə Ərəbistanında koronavirusa yoluxma halı qeydə alınmayıb. Bu arada İranda koronavirusa (Covid-19) yoluxma hallarının sayı getdikcə artır. Tənqidçilər İran hökumətini virusla mübarizə aparmaq imkanlarının yoxluğunda günahlandırırlar. İranda neçə nəfər koronavirusa yoluxub? İran hökuməti ən son məlumata görə, koronavirusdan ölənlərin 19, bu virusa yoluxanların isə 139 nəfər olduğunu bildirib. Ancaq əslində virusdan ölən və ona yoluxanların sayının söyləndiyindən daha çox olduğu ehtimal edilir. İranda virusdan ölüm faizi 14 faizdir, bu isə qlobal səviyyədən çox yüksəkdir - bəzi epidemioloqlar isə bu sayın daha çox ola biləcəyini bildirirlər. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) çərşənbə günü vəziyyəti qiymətləndirmək və yardım məqsədi ilə həftəsonu İrana bir qrup göndərəcək. Karantin tətbiq olunubmu? İran Prezidenti Həsən Ruhani şəhərlərdə, ayrı-ayrı məhəllələrdə karantin tətbiq etməyi planlaşdırmadıqlarını bildirib. Virusun ilk yayıldığı Qum şəhərində türbələr hələ də fəaliyyət göstərir və onların bağlanılması ilə bağlı təlimat verilməyib. İran hökuməti əhaliyə vacib olmadıqca böyük toplantılara qatılmamağı və Qum şəhərinə səyahət etməməyo tövsiyə edib. Tehran polisi kafe və çayxanalarda qəlyan istifadəsini qadağan edib. Virusun tapıldığı əyalətlərdə məktəblər və universitetlər bağlanıb, idman müsabiqələri, film nümayişləri və digər tədbirlər ləğv edilib. AFP xəbər agentliyi bildirir ki, İran polisi internetdə koronavirusla bağlı yalan xəbər yaymaqda ittiham olunan 24 nəfərin saxlandığını, 118 nəfərə isə xəbərdarlıq edildiyini bildirib. İranda yetəri qədər tibbi ləvazimat və üz maskası varmı? ÜST İrandakı tibb personalına diaqnostik alətlər və qoruyucu ləvazimatlar verib. İran Səhiyyə Nazirliyi ÜST-ün indiyədək bu ölkəyə 4 dəfə tibbi yardım etdiyini bildirib. Bir çox İran sakini tibbi ləvazimatların tapılmamasından gileylidir. İranda bir ləvazimat idxalçısı ABŞ sanksiyaları səbəbiylə diaqnostik ləvazimatlar ala bilmədiyini deyib. İran Tibbi Ləvazimatlar İdxalçıları Birliyinin idarə heyəti üzvü Ramin Fallah İlna xəbər agentliyinə \"Bir çox beynəlxalq şirkət İrana koronavirus testi gətirməyə razıdır, ancaq biz ödənişi etmək üçün pul göndərə bilmirik\" deyib. ABŞ hökuməti isə sanksiyaların İranın tibbi ləvazimat əldə etmək imkanlarını daraltması ilə bağlı iddialarını rədd edir və bu ləvazimatların insani ehtiyaclar kateqoriyasına aid olduğunu bildirib. İran isə ABŞ sanksiyalarını pozmaqdan çəkinən bankların ödəmələri qəbul etməməsinə görə şirkətlərin ödəmələrini həyata keçirməkdə çətinlik çəkdiklərini bildirib. Bir çox ölkədə olduğu kimi İranda da əhalinin tibbi maska, dezinfeksiyaedici gel və sprey satın ala bilmək üçün əczaxanaların qarşısında uzun növbələr yaratdığı bildirilir. Bu məhsulların qiymətləri isə 10 dəfəyə qədər artıb. Sosial mediada isə İranda tibbi maskanın çatışmazlığının səbəbini bu ölkənin Çinə 3 milyon maska bağışlaması ilə əlaqələndirənlər var. Yerli media Çin şirkətlərinin İrandan çoxlu üz maskası satın aldığını, bunun da İranın daxili bazarlarında qıtlıq yaşanmasına səbəb olduğunu yazır. İran hökuməti fabriklərə üz maskası istehsalını artırmağı tapşırdığını və və maska ixracatını üç aylığa dayandırdığını bildirib. İranlıların səyahət etmələrinə məhdudiyyət qoyulubmu? İran ölkəxaricinə səyahəti qadağan etməyib, ancaq Türkiyə, Pakistan və İraq sərhədləri bağlayıb. Türkiyə və Birləşmiş Ərəb Əmirlikləri İrana uçuşları dayandırıb. Bunlar İranın neftdən başqa digər ixrac məhsulları üçün önəmli ölkələrdir. Sərhədlərin bağlanması və tətbiq olunan məhdudiyyətlər İran iqtisadiyyatına pis təsir edə bilər. İran hökuməti isə fevralın 2-dən Çinə uçuşları dayandırdığını bildirsə də, uçuş cədvəlləri İranla Çin arasında həmin tarixdən indiyədək 9 uçuşun həyata keçirildiyini göstərir. Koronavirusun Avropada yayılma mənzərəsi: rəqəmlərdə Avropada təsdiqlənmiş yoluxma halları ilə bağlı fevralın 26-na olan göstəricilər belədir: Italiya - 400 Almaniya - 21 Böyük Britaniya - 13 Fansa - 12 Avstriya - 2 Xorvatiya - 2 İspaniya - 2 Rusiya - 2 Danimarka - 1 Belçika - 1 Finlandiya - 1 İsveç - 1 İsveçrə - 1 Yunanıstan - 1 Norveç - 1 Gürcüstan - 1 Şimali Makedoniya - 1"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51435290", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51474129", "doc1": "প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে চিরবৈরি এবং একই সাথে পরস্পরের সহচর টম ও জেরি। আপনি হয়তো অনুমান করতে পারছেন যে এরপর কী হবে। প্রায় প্রতিবারের মত একই পরিণতি বিড়ালের পরিকল্পনার: আবারো একটি পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার হতাশায় নিষ্ফল আক্রোশে চিৎকার করতে থাকে বেচারা বিড়াল। গল্পের পটভূমি পরিচিত হলেও এর পেছনের কাহিনীটা কিন্তু সবসময় একরকম নয়। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয় থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার বিতর্কিত এলাকায় গোপনে কার্টুন তৈরির কাজ - এসবই এ সপ্তাহে আশিতে পা দিতে যাওয়া টম অ্যান্ড জেরিকে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে পরিচিত ডুয়েটের একটি হিসেবে পরিচিতি পেতে ভূমিকা রেখেছে। এই ইঁদুর-বিড়াল যুগলের কাহিনী তৈরির চিন্তাটি আসে যখন এর নির্মাতারা একেবারে খাদের কিনারায় ছিলেন তখন। এই কার্টুনের নির্মাতা বিল হ্যান্না ও জো বারবেরা কাজ করতেন প্রযোজক সংস্থা এমজিএম'এর অ্যানিমেশন বিভাগে। অন্যান্য অ্যানিমেশন স্টুডিও পর্কি পিগ ও মিকি মাউসের মত সফল কার্টুন তৈরি করতে পারলেও এমজিএম তখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি। ৮০ বছরে পা দিয়েছে টম অ্যান্ড জেরি অনেকটা বিরক্ত হয়েই দুই নির্মাতা, যাদের দু'জনের বয়সই তখন ত্রিশের নিচে ছিল, ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। বারবেরা প্রস্তাব করেন ইঁদুর ও বিড়ালের প্রতিদিনের খুনসুটির কাহিনী নিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করার, যদিও তার আগে অসংখ্যবার এই পটভূমিতে কার্টুন তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪০ সালে তারা প্রথমবার প্রকাশ করেন 'পুস গেটস দ্য বুটস।' অভিষেক ছবিটি সফলতা পায় এবং নির্মাতা স্টুডিও সেরা অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। তবে যেই দু'জন অ্যানিমেটর ছবিটি তৈরি করেন তাদেরকে কোনো কৃতিত্ব দেয়া হয়নি। দুই অ্যানিমেটরকে স্টুডিওর ম্যানেজাররা বলেন যেন তারা নিজেরা সব কৃতিত্ব নেয়ার জন্য উদগ্রীব না হন। প্রথম পর্বে ইঁদুর ও বিড়ালের নাম জ্যাসপার ও জিঙ্কস থাকলেও পরে তা পরিবর্তিত হয় টম ও জেরিতে। তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয় টেক্সাসের এক প্রভাবশালী শিল্পপতির চিঠিতে। চিঠিতে ঐ ব্যক্তি জানতে চান 'ইঁদুর-বিড়ালের চমৎকার কার্টুনটি আবার কবে দেখতে পাবো।' প্রথম পর্বে তাদের নাম ছিল জ্যাসপার ও জিঙ্কস, পরে যা পরিবর্তিত হয় টম ও জেরিতে। বারবেরার মতে, কার্টুনের চরিত্রগুলো কথা বলবে কি না, তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি নিজেদের মধ্যে। তবে চার্লি চ্যাপলিনের মত নীরব চলচ্চিত্র দেখে বড় হওয়া নির্মাতারা জানতেন যে কোনো ডায়লগ না থাকলেও একটি চলচ্চিত্রকে যথেষ্ট হাস্যরসাত্মক হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। কার্টুনের চরিত্রদের সব কার্যকলাপকে ফুটিয়ে তোলে স্কট ব্র্যাডলির আবহ সঙ্গীত আর টমের প্রায় মানুষের মত চিৎকারের পেছনে কন্ঠ দেন হ্যান্না নিজে। পরের দুই দশকে প্রায় ১০০টি ছোট পরিসরের কার্টুন তৈরির পেছনে ছিলেন হ্যান্না ও বারবেরা। প্রতিটি পর্ব তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং প্রায় ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো। কাজেই প্রতিবছর হাতে গোনা কয়েকটি পর্বই তৈরি করা সম্ভব হতো। সমৃদ্ধ হাতে আঁকা অ্যানিমেশন ও সূক্ষ্ম খুঁটিনাটি সহ দৃশ্যপট থাকায় সারা বিশ্বেই এই টম অ্যান্ড জেরির সর্বশ্রেষ্ঠ কার্টুন চিত্র। হলিউড ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে সাতটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পায় এই ফিল্মগুলো। কার্টুন ইতিহাসবিদ জেরি বেক, যিনি কার্টুন চলচ্চিত্র তৈরির বিভিন্ন ধাপে কাজ করেছেন, বলেন, \"কার্টুনগুলো আপনি এখনই দেখেন অথবা শিশু অবস্থাতেই দেখে থাকেন, কোন সময়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছে জানলে আপনি অবাক হবেন, সে নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি।\" সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্টুনগুলোর একটি টম অ্যান্ড জেরি \"অ্যানিমেশনগুলোতে বিশেষ কিছু আছে, এগুলো চিরসবুজ। এটি কখনই পুরনো হয় না।\" \"যে কোনো হাতে আঁকা ছবি যেমন একটা নির্দিষ্ট সময়ের গল্প বলে, সেটা যে সময়েই আঁকা হোক না কেন, এই কার্টুনগুলোও সেরকমই। এগুলো কখনও বিনোদন দেয়া বন্ধ করে না।\" ১৯৫০'এর মাঝামাঝি সময়ে যখন প্রযোজক ফ্রেড কুইম্বি অবসরে যান, হ্যান্না ও বারবেরা এমজিএম'এর কার্টুন বিভাগের দায়িত্ব নেন। সেসময় টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় স্টুডিও মালিকেরা মনে করতে থাকেন যে পুরনো অ্যানিমেশনগুলোকে নতুনভাবে প্রকাশ করে আর্থিকভাবে যতটা লাভবান হবেন, নতুন অ্যানিমেশন বানিয়েও মোটামুটি একই অঙ্কের লাভ করতে পারবেন। ১৯৫৭ সালে এমজিএম'এর অ্যানিমেশন বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হ্যান্না ও বারবেরা নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা চালু করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আসল নির্মাতাদের ছাড়াই টম অ্যান্ড জেরি পুনর্নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেয় এমজিএম। ১৯৬১ সালে খরচ বাঁচাতে প্রাগে একটি স্টুডিওকে দিয়ে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শিকাগোতে জন্ম নেয়া অ্যানিমেটর জিন ডাইচ পুনর্নির্মানের দায়িত্ব পান। তবে বাজেট স্বল্পতার কারণে কম লোকবল নিয়ে কাজ করতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় তাকে। পাশাপাশি টম অ্যান্ড জেরির পুরনো পর্বগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণেও সমস্যায় পড়ে তার দল। ঐ স্টুডিওতে পপাইয়ের মত জনপ্রিয় বেশকিছু কার্টুনের পর্বও পুনর্নির্মান করা হয়েছিল। নির্মাতাদের চেক নামগুলোকে অ্যামেরিকানদের মত করে লেখা হয়, যেন দর্শকরা কার্টুনগুলোকে কমিউনিজমের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে না করে। ক্লাসিক কার্টুনগুলোকে প্রথমবার পুনর্নির্মান করেন ডাইচ, আর তিনি জানতেন এর জন্য ফ্যানদের রোষানলে পড়বেন তিনি। তার তৈরি করা ১২টি কার্টুনকে টম অ্যান্ড জেরির ইতিহাসের নিকৃষ্টতম পর্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। সাক্ষাৎকারের সময় নিজেদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে সৎ স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন ডাইচ। এমনকি তিনি এও জানান যে সেসব পর্ব তৈরি করা নিয়ে মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছিলেন তিনি। ডাইচের পরে টম অ্যান্ড জেরি নতুন করে বানানোর দায়িত্ব পড়ে চাক জোনসের হাতে, যিনি ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওতে লুনি টিউনসের সাথে কাজ করার জন্য পরিচিত ছিলেন। এমজিএম স্টুডিওতে টেলিভিশনকে বেশ নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও হ্যান্না ও বারবেরা নিজেরা যখন অ্যানিমেশন তৈরি করতে শুরু করেন, তখন টেলিভিশনের জন্য পর্ব বানাতে শুরু করেন। সময় ও খরচ বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ আকৃতির পর্ব তৈরি করেন তারা নিজেদের অ্যানিমেশন স্টাইলে। কয়েক দশক যাবত তাদের কার্টুন শিশুদের টেলিভিশনে আধিপত্য চালায়। ১৯৬০'এর দশকের শুরুর দিকে হাকলবেরি হাউন্ড ও ইয়োগি বেয়ারের মত চরিত্র দিয়ে সাফল্য লাভ করেন তারা। পরে একে একে আসে ফ্লিন্টস্টোনস, টপ ক্যাট এবং স্কুবি ডু'র মত চরিত্র। ৭০'এর দর্শকে এই জুটি আবারো টম অ্যান্ড জেরি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। ততদিনে শুরুর দিকের অনেক পর্বকেই সেসময়কার নতুন টেলিভিশন নীতিমালা অনুযায়ী 'অতিরিক্ত সহিংস' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন পর্বগুলো, যেখানে টম ও জেরিকে একে অপরের বন্ধু হিসেবে দেখা যায়, কখনোই আদি পর্বগুলোর মত সাফল্য পায়নি। সেসময়কার অন্যান্য কার্টুনের মত টম অ্যান্ড জেরির ঐতিহ্যও কিছুটা সমালোচিত হয় নির্দিষ্ট জাতিস্বত্ত্বাকে খাটো করে উপস্থাপন করার অভিযোগে। বিশেষ করে 'ম্যামি টু শুজ' চরিত্রটির - এক কৃষ্ণাঙ্গ গৃহকর্মী, যার বাচনভঙ্গিতে দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাব ছিল অতিরিক্ত স্পষ্ট এবং যার কোমড়ের নিচের অংশই কেবল কার্টুনে দেখা যেত - উপস্থাপন জাতি বৈষম্যকে আপত্তিকরভাবে প্রকাশ করে বলে অভিযোগ ছিল। ঐ পর্বগুলোর কয়েকটিতে কৃষ্ণাঙ্গ চেহারা ব্যবহার করে হাস্যরস তৈরি করা এবং এশিয়ান বা জন্মগতভাবে অ্যামেরিকানদের চরিত্র উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও মর্যাদা হানিকর চিত্রায়ন করা হয়। ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনে মূল পর্বগুলো যখন প্রকাশ করা হয়, কিছু দৃশ্যে ম্যামি'র চরিত্র প্রতিস্থাপন করা হয় নতুন চরিত্র দিয়ে, যেগুলোর অনেকগুলো চাক জোনসের তৈরি করা ছিল। যে পর্বগুলো বর্তমানে অনলাইনে স্ট্রিম করতে দেখা যায় বা নতুন করে প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোর অনেকগুলোতেই আপত্তিকর দৃশ্য ও চরিত্রগুলোকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে অ্যামাজন প্রাইম ইনস্ট্যান্ট ভিডিও যখন ঐ পর্বগুলোতে 'জাতিগত কুসংস্কার' রয়েছে এমন মন্তব্য সতর্কতা হিসেবে লিপিবদ্ধ করে, তারপর থেকে আপত্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষ সতর্কতা তৈরি হয় প্রকাশকদের মধ্যে। আপাতদৃষ্টিতে সহিংস কিছু কাহিনীর চিত্রায়ন ও ইঙ্গিতপূর্ণ হাস্যরসাত্মক দৃশ্যপট থাকলেও বিশ্বজুড়ে এখনও দারুণ জনপ্রিয় টম অ্যান্ড জেরি। জাপান থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত পৃথিবীর সবখানেই শিশুদের টেলিভিশনে এই কার্টুন দেখতে পাওয়া যায়। চীনে টম অ্যান্ড জেরির একটি নতুন মোবাইল ফোন গেম ১০ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি এই যুগে এসেও টম অ্যান্ড জেরি আশ্চর্জজনকভাবে নতুন নতুন হেডলাইন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬ সালে মিসরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন যে মধ্যপ্রাচ্য সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে ভূমিকা রাখছে এই কার্টুন। ইরানের শীর্ষ নেতা অন্তত দুইবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ককে তুলনা করেন টম ও জেরির মধ্যকার সম্পর্কের মাধ্যমে। কয়েক দশক ধরে নিয়মিতভাবে বিবিসি'র প্রচারিত অনুষ্ঠানের তালিকায় থাকার কারণে যুক্তরাজ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই কার্টুন। ২০১৫ সালে এক জরিপে যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্টুন হিসেবে উঠে আসে টম অ্যান্ড জেরির নাম। প্রথম তৈরি হওয়ার পর থেকে আশি বছরে বহুল পরিচিত ইঁদুর ও বিড়ালের খুনসুটির কাহিনী নিয়ে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুনের পাশাপাশি গীতিনাট্যভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়। ঐ ছবিতে চরিত্রগুলো গান গাইতো এবং কথাও বলতো। বিল হ্যান্না মারা যান ২০০১ সালে এবং জো বারবেরার মৃত্যু হয় ২০০৬ সালে। মারা যাওয়ার এক বছর আগে জো বারবেরা শেষবারের মত টম অ্যান্ড জেরির একটি পর্ব তৈরি করেন, যেটি ছিল সঙ্গী বিল হ্যান্নাকে ছাড়া তার তৈরি করা টম অ্যান্ড জেরির প্রথম পর্ব। টম অ্যান্ড জেরির বর্তমান স্বত্বাধিকারী ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবছরের বড়দিনের আগে নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ফিল্ম বাজারে ছাড়বে। ক্লো গ্রেস মোরেৎজ ও কেন জেওং এই ফিল্মটিতে কাজ করবেন, এছাড়া এটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। জেরি বেক মনে করেন বিশ্বব্যাপী মানুষ নিজেদের জীবনের সাথে মিল খুঁজে পান বলেই এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টম অ্যান্ড জেরি। তিনি বলেন, \"জেরি'র সাথে মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায় কারণ আমাদের প্রায় সবার জীবনেই অত্যাচারী চরিত্র রয়েছে।\" \"অফিসের বস, বাড়ির মালিক বা রাজনীতির ক্ষেত্রে সবসময়ই অত্যাচারী চরিত্র খুঁজে পাই আমরা। আর আমরা সাধারণত নিজেদের মত করে জীবন চালাতে চাই, যেখানে কেউ না কেউ বিরক্ত করে।\"", "doc2": "Yəqin ki, sonra baş verənlərdən xəbərdarsınız. Demək olar ki, bütün bölümlər eyni sonluqla bitir: məkrli planlarına özü qurban gedən pişik ağrıdan qıvrıla-qıvrıla qışqırır. Filmin süjeti hər kəsə bəlli olsa da, tarixçəsini bilən azdır - böyük şöhrət, \"Oscar\" mükafatı, soyuq müharibə illərində \"dəmir pərdə\" arxasındakı gizli studiya. Bu həftə \"Tom və Jerry\"-nin (Tom və Cerri və ya Tom və Ceri- red.) 80 yaşı tamam olur. Necə oldu ki, onlar tarixin ən komik duetinə çevrildilər? \"Tom və Jerry\" böhran və məyusluq dövründə \"doğulmuşdular\". Multiplikatorlar William Denby Hanna və Joseph Roland Barbera-nın çalışdığı \"Metro Goldwyn Mayer\" şirkəti Mickey Mouse kimi çox populyar personajlar yarada bilmiş rəqiblərinin uğurunu təkrarlamağa çalışırdı. O vaxt 30-a yaxın yaşları olan Hanna və Barbera darıxmaqdan bezib yeni ideyalar axtarmağa başlayırlar. Sadə konfliktli və qaçdı-qovdulu siçan-pişik qovğaları Barbera-nın xoşuna gəlirdi, amma bu mövzu artıq yüzlərlə dəfə ekranlaşdırılmışdı. Onların ilk birgə işi \"Puss Gets the Boot\" (\"Çəkməylə vurulan pişik\") filmi olur (1940). Bu filmdə Toma oxşayan pişiyin adı Casper, siçanın adı isə Cinks idi. Film böyük populyarlıq qazanır, ən yaxşı qısa animasiya filmi kimi \"Oscar\" alır. Ancaq bu mükafata Hanna və Barbera yox, MGM layiq görülür. Əvvəlcə studiyanın menecerləri onlara təklif etmişdilər ki, sadəcə bu mövzuya fokuslanmasınlar, digər layihələr də düşünsünlər. Ancaq Texas kinoteatrlar şəbəkəsinin kiçik filmlər şöbəsinin direktoru Besa Short-dan gələn məktub hər şeyi dəyişir. Həmin məktubda o soruşurdu ki, \"pişik və siçan haqqında o gözəl multfilmin\" yeni bölümlərinə nə vaxt baxa biləcək. Bundan sonra Casper və Cinksin adı dəyişdirilərək Tom və Cerri qoyulur. Tom və Jerry gah dalaşır, gah da dostlaşırdılar, ancaq onların yumoru həm böyüklərin, həm də uşaqların xoşuna gəlirdi Barbera-nın sözlərinə görə, filmdə personajların danışıb-danışmaması fikri xüsusi müzakirə olunmayıb. Multfilmin yaradıcıları Charlie Chaplin-in filmlərini izləyərək böyümüşdülər və bilirdilər ki, yumorun dialoqlara ehtiyacı yoxdur. Filmin musiqisini bəstəkar Scott Bradley bəstələyib, Tomun insan səsinə bənzəyən çığırtısı isə Hanna-nın öz ifasındadır. Sonrakı iyirmi ildə Hanna və Barbera yüzdən çox yeni seriya hazırlayıblar. Hər seriya üçün şəkillərin çəkilməsinə bir neçə həftə vaxt və 50 min dollara qədər vəsait lazım gəlirdi deyə, il ərzində istehsal edilən seriyaların sayı çox olmurdu. O illər \"Tom və Jerry\"nin qızıl dövrü hesab edilir. Şəkilləri əllə çəkilən qəhrəmanların və çoxsaylı detalları olan dekorasiyaların axıcı animasiyası bu multfilmə bir neçə \"Oscar\" və Hollywood filmlərində epizodik rollar qazandırmışdı. \"Filmə uşaq vaxtı baxmısınızsa və hətta ilk dəfə indi baxacaq olsanız belə, hansı bölümün nə vaxt çəkildiyini deməyə çətinlik çəkərsiz. Bu animasiyada qəribə bir xüsusiyyət var - həmişəyaşıldır, heç vaxt solmur. Şəkillər də belədir - biz muzeyə gedib oradakı əsərlərə baxanda onların 17-18-ci əsrlərdə çəkildiyini bilirik, ancaq zamanın fərqi yoxdur, çünki onları bu gün də başa düşürük. Cizgi filmləri də belədir. Zamanla biz başa düşdük ki, animasiya keçici əyləncə növlərindən biri yox, böyük incəsənətdir\" - filmin tarixçisi Jerry Beck belə deyir. 1945 - \"Lövbərləri qaldırmaq\" filmində Jerry Jean Kelly ilə rəqs edir 1953 - pişik və siçan balası \"Dangerous When Wet\" (La-Manşı fəth etmək) filmində üzgüçü Esther Williams-la eyni epizodda çəkiliblər 1950-ci illərin ortalarında prodüser Fred Quimby təqaüdə çıxandan sonra Hanna və Barbera MGM-in animasiya şöbəsinə rəhbərlik etməyə başlayırlar. Qarşıda şirkətdə ixtisarlar olacağı gözlənir. Televiziyanın artan populyarlığından qorxan menecerlər başa düşürlər ki, yeni bölümlər çəkmədən, köhnələri nümayiş etdirməklə kifayətlənəndə gəlir, demək olar ki, azalmır. 1957-ci ildə şirkətin animasiya şöbəsi bağlanır, Hanna və Barbera öz studiyalarını yaradırlar. Bir neçə il sonra MGM Tom və Jerry-ni ekranlara qaytarmaq qərarına gəlir, ancaq bu dəfə yaradıcılarının iştirakı olmadan. 1961-ci ildə studiya qənaət məqsədilə serialı Praqadakı tərəfdaşına verir. Chicago-dan olan animator Gene Deitch layihəyə rəhbərlik edir, ancaq büdcə məhdud, animatorlarsa məlumatsız idilər. Çex studiyası gizli şəkildə digər animasiyalar üçün də (məsələn, \"Popayya\" multfilminə) yeni bölümlər çəkirdi. Titrlərdə çex soyadları Amerika sayağı yazılırdı ki, tamaşaçılarda kommunizmlə bağlı assosiasiyalar yaranmasın. \"Praqadakı multiplikatorlar \"dəmir pərdə\" ucbatından \"Tom və Jerry\"nin bir bölümünü də görməmişdilər\" - sonralara Deitch çex radiosuna müsahibəsində belə demişdi. Deitch in rəhbərliyi altında çəkilmiş 13 seriya davamlı olaraq serialın ən pis hissələri sayılırdı. Deitch bu haqda müsahibələrində də danışırdı, bir dəfə isə demişdi ki, fanatlardan biri onu ölümlə hədələyib. Ondan sonra serial Chuck Jones-a keçir. Həmin vaxt bu rejissorun ən populyar filmi \"Looney Tunes\" hesab olunurdu. Onun variantında Tom-a qalın qaşlar çəkirlər. Getdikcə o, Jones-un Dr Seuss-un kitabı əsasında çəkdiyi digər multfilmindəki Qrinç adlı pişiyə oxşamağa başlayır. Chuck Jones 1963-67-ci illər ərzində \"Tom və Jerry\"nin 23 üç seriyasını çəkib 72 yaşlı Mark Kausler Tom və Jerry ilə keçən uşaqlığını yaxşı xatırlayan çox adamdan biridir. Filmin ilk bölümlərinə baxmaq üçün atasını elə hey St. Louis-dəki kinoteatra çəkib aparan Kausler \"Tom və Jerry\"dən ilhamlanaraq sonralar özü də multfilm personajları çəkməyə başlayıb və animasiya sahəsində uzun və uğurlu karyera qura bilib. \"Cizgi filmi ilk növbədə görünüşünə, musiqisinin ritminə, həmin ritmdə musiqinin necə çalışmasına əsaslanır. Bu, çox gözəl formuluydu - bütün elementlər bir-biriylə əlaqəliydi. Onlar bu əlaqələri söküb yenidən yığanda, yeni adamlarla, başqa rəssamla çalışmağa başlayanda, nəticə mənə süni göründü\" - Kausler belə deyir. Kausler \"Dovşan Roceri kim satıb?\" və \"Pişik Feliks\" filmlərini çəkib Hanna və Barbera onun təhsil aldığı multiplikatorlar məktəbinə gələndə sevindiyini yaxşı xatırlayan Kausler özü \"Tom və Jerry\" üçün işləyə bilməyib - bu sahəyə gec gəldiyi üçün. MGM-də \"televiziya\" sözünü işlətmək qadağanıydı, Ancaq Hanna və Barbera öz şirkətlərini qurandan sonra bu yeni icadı mənimsəyə bilirlər. Büdcələri kiçik olsa da, bölümləri daha uzun çəkməyə başlayırlar, öz animasiya stillərini televiziyaya uyğunlaşdırırlar və daha az vaxt və pul xərcləməyin bir neçə üsulunu fikirləşib tapırlar. Onillər boyu cizgi filmləri uşaqlar üçün televiziyanın əsas komponenti olub. İlk uğurların əldə edildiyi 1960-cı illərdə Geklberri Finn və Ayı Yogi kimi personajlar ortaya çıxıb. Sonra yeniləri yaranıb - \"The Flintstones\" və \"Scooby-Doo\". 1970-ci illərdə Hanna və Barbera \"Tom and Jerry\"yə dönürlər. Televiziya nizamlayıcılarının həmin dövrdəki qaydalarına görə, əvvəlki bölümlər \"çox sərt\" hesab olunur. Pişiklə siçan balasının dost olduğu yeni bölümlər əvvəlkilərin uğurunu təkrarlaya bilmir. Hanna (solda) və Barbera (sağda) MGM-dəki köhnə komandadan mümkün qədər çox adam cəlb etməyə çalışırdılar 1960-cı illərdə Hanna və Barbera həm də \"The Jetsons\" serialını çəkmişdilər O dövrdə çəkilmiş bir çox başqa cizgi filmləri kimi, \"Tom and Jerry\"də ağ irqdən olmayanların siyasi baxımdan qeyri-korrekt şəkildə təsvir edilməsi ittihamına tuş gəlib. Tom-un \"Bir cüt ayaqqabı\" (Mammy Two-Shoes) adlı sahibəsini - cənub ləhcəsiylə danışan, kadrlarda bədəninin qurşaqdan yuxarısı göstərilməyən afroamerikalı mürəbbiyəni irqçi karikatura adlandırlar. Bəzi bölümlərdə \"blackface\" zarafatların; o cümlədən, asiyalıların və Amerika aborigenlərinin alçaldıcı təsvirlərinin olduğu qeyd edilir. 1960-cı illərdə bu seriyalar televiziyada göstərməyə başlayanda o tip səhnələrin bəzilərini kəsirlər, Tom-un sahibəsini isə Jones-un komandasının hazırladığı yeni personajlarla əvəz edirlər. Hazırda qeyri-korrekt olan seriyaları əvvəlki kolleksiyalardan və yayım platformalarından çıxarırlar. 2014-cü ildə \"Amazon\" şirkəti cizgi filmə \"irqi ayrıseçkilik\" xəbərdarlığı əlavə edib. \"Tom and Jerry\" öz zarafatyana zorakılığı və qara yumoruyla hələ də bütün dünyada məşhurdur. Bu multfilmi istər Yaponiyanın, istərsə də Pakistanın uşaq kanallarında görmək olar. Onun motivləri əsasında mobil telefonlar üçün hazırlanmış oyunu isə təkcə Çində 100 milyon adam köçürüb. Təəccüblü də olsa, serial hələ də xəbər proqramlarının mövzusu olmağa davam edir. 2016-cı ildə misirli məmur onu Yaxın Şəqrdə münaqişələri aktivləşdirməkdə günahlandırıb, İranın dini lideri isə ölkəsi və ABŞ arasındakı münasibətləri ən azı iki dəfə \"Tom və Jerri\"ylə müqayisə edib. Hindistanda serialı bir neçə dildə nümayiş etdirirlər İraqda Domiz qaçqınları üçün düşərgə, 2014 BBC-nin uşaq kanalları da istisna deyil: Britaniyada uşaqlar bu filmi çox sevirlər, 2015-ci ildə keçirilmiş sorğulardan sonrasa onun böyüklər arasında da ən populyar animasiya olduğu aşkara çıxıb. 80 il ərzində pişik və siçan balası özlərini müxtəlif janrlarda sınayıblar - Tom və Jerry -nin balaca olduğu \"uşaq\" variantından tutmuş 1992-ci ildə hər ikisinin danışdığı və mahnı oxuduğu tammetrajlı filmə qədər. Hanna 2001-ci ildə, Barbera 2006-cı ildə vəfat edib. Bundan bir il əvvəl Barbera-nın adı son dəfə \"Tom və Jerry\" serialının titrlarında yazılıb - ilk dəfə Hanna-sız. \"Biz bir-birimizi çox gözəl başa düşürdük və birimiz o birimizin işinə hörmətlə yanaşırdıq\" - Barbera Hanna ilə münasibətləri haqqında belə demişdi. 1992-ci ildə tammetrajlı \"Tom və Jerry\" filmi çox da böyük kassa uğuru qazanmamışdı 2014-cü ildən etibarən filmin yeni versiyası nümayiş etdirilir \"Tom və Jerry\"nin indiki sahibi \"Warner Brothers\" şirkəti Milad bayramı ərəfəsində bu adla yeni film yayımlamaq istəyir. Layihə haqqında çox az məlumat var. Filmdə aktyorlar Chloë Grace Moretz and Ken Jeong çəkildiyi bilinir. Jerry Back \"Tom və Jerry\"nin azalmayan populyarlığını personajlarla adamlar arasında ortaq nöqtələrin çox olmasıyla izah edir: \"Məncə, insanların bir çoxu özünü Jerriyə bənzədə bilər, çünki hər birimizin həyatında bizə mane olan şəxslər var. Məsələn, müdir, ev sahibi, siyasətçi və ya hər hansı bir şəxs. Biz öz həyatımızı yaşayırıq, onlarsa gəlib hər şeyi dağıdırlar\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53872066", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/53877110", "doc1": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস জেনেভায় শুক্রবার তিনি বলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ''অবশ্যই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। '' ''কিন্তু একই সময়ে এটা দমন করার মতো প্রযুক্তি ও জ্ঞান আমাদের আছে,'' তিনি বলেন। এ ব্যাপারে জাতীয় সংহতি এবং বৈশ্বিক একতার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আটলাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ২৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় পাসোর্নাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি একে ' অপরাধ' বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। ''যেকোনো ধরণের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য,'' তিনি বলেছেন। ''তবে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি...আমার মতে এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড। কারণ স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি পিপিই ছাড়া কাজ করে, আমরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছি। সেই সঙ্গে যাদের তারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে।'' দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার তৈরি হলেও, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩,৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়", "doc2": "Dr Tedros deyib ki, qloballaşma pandemiyanın daha tez yayılmasına zəmin yaradıb Tedros Adhanom Ghebreyesus bu bəyanatla Cenevrədə keçirilən brifinqdə çıxış edib. O, 1918-ci ildə \"İspan qripinin\" iki il tüğyan etdiyini qeyd edib. ÜST nümayəndəsinin sözlərinə əsasən, qloballaşma pandemiyanın daha sürətlə yayılmasına zəmin yaratsa da, hazırkı texnologiyalar virusu \"daha qısa müddətdə\" dayandırmağa imkan verə bilər. O, pandemiyanı məğlub etməkdə \"milli birlik, qlobal həmrəyliyin\" əhəmiyyətini vurğulayıb. 1918-ci ildə yayılan \"İspan qripi\" ən az 50 milyon insanın ölümünə səbəb oldu. Koronavirus pandemiyası bu günə qədər dünya boyunca təxminən 800 min insanın həyatına son qoyub, Azərbaycanda ölənlərin sayı 500-ü keçib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52014573", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52020285", "doc1": "সুরক্ষা সরঞ্জামাদির উৎপাদন বাড়াতে জি-টুয়েন্টিভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরো এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়, আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, \"এখনো এর গতিপথ পাল্টে\" দেয়া সম্ভব। তিনি দেশগুলোকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। \"আমরা কী পদক্ষেপ নেই সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটা ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না। প্রতিরক্ষার সাথে সাথে আক্রমণও করতে হবে।\" ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে \"কিক আউট করোনাভাইরাস\" বা \"করোনাভাইরাসকে দূর কর\" -এমন একটি কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিফার প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফানটিনোর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ড. টেড্রোস বলেন, মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, \"এটা জিততে সাহায্য করবে না।\" করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশগুলোকে \"আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ\" নেয়ার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস। \"জয় পেতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে-প্রতিটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও যত্নে রাখতে হবে, আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।\" বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. টেড্রোস। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বা পিপিই পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা। \"স্বাস্থ্যকর্মীরা তখনই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন যখন তারা নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারবেন,\" তিনি সতর্ক করে বলেন। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? \"আমরা যদি অন্য সবকিছুই ঠিক ঠাক করি কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করি, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে কারণ যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সেবা দিতো তারাই অসুস্থ।\" তিনি বলেন, পিপিই-কে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করছে। একই সাথে বিশ্বজুড়ে এর সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান \"আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সমন্বয়ের\" আহ্বান জানান এবং বলেন যে, চলতি সপ্তাহে জি-২০ জোটভুক্ত নেতাদের তিনি আহ্বান জানাবেন তারা যাতে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদন বাড়ায় এবং সেগুলো রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। সেই সাথে এসব সরঞ্জামের বণ্টন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ারেন্টিনে ইতালির বাঙ্গালিরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপের লড়াই শক্তিশালী হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার রাতে ঘোষণা দেন যে, \"সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া... মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হবে না।\" এগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা, প্রতিদিন এক ধরণের ব্যায়াম করা, যেকোন চিকিৎসা সেবার জন্য এবং ঘরে থেকে কাজ করা সম্ভব না হলে কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষজন বের হতে পারবে। সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৩৩৫ জন মারা গেছে। বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬০২ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০৭৭ জনে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের পর এই প্রথম এক দিনে কমসংখ্যক মানুষ মারা গেল। ধারণা করা হচ্ছে যে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা কাজ করতে শুরু করেছে। স্পেনে এক দিনে মারা গেছে ৪৬২ জন যা মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮২ জনে-সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ২৭% বেশি। ফ্রান্সে নতুন করে মারা যাওয়া ১৮৬ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৮৬০ জন। সেখানে মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কঠোর করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শরীর চর্চার মতো কার্যক্রম কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে এবং খোলা বাজার বন্ধ করা হয়েছে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য ডিক পাউন্ড বলেছেন যে. করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পেছানো হতে পারে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এনিয়ে কোন ঘোষণা দেয়নি আইওসি। আপনিও এসব ভুল করছেন না তো? খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছে আইওসি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা বলেছে যে তারা জাপানে এই গ্রীষ্মে খেলায় অংশ নেবে না এবং গ্রেট ব্রিটেনও বলেছে যে তারাও হয়তো কোন দল পাঠাতে পারবে না। অন্যান্য দেশের অবস্থা কেমন •যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮১ জন মারা গেছে এবং রাজ্য ও শহরের গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চেয়েছে। •প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্য যথা- ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। •ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বুধবার ভোর থেকেই সব ধরণের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। •দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলেছে যে বৃহস্পতিবার থেকে ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর করবে তারা। •মহামারি ঠেকাতে একটি \"বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির\" আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংঘাত চলতে থাকলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষ-\"নারী ও শিশু, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু ও বাস্তুচ্যুতদেরকেই\" সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে।", "doc2": "Hazırda dünya boyunca 300 mindən çox insan infeksiyaya yoluxub. Covid-19-a yoluxanların sayı ilk 67 gündə 100 minə, ondan sonrakı 11 gündə 200 minə və cəmi dörd günə 300 minə çatıb. ÜST-nin baş direktoru Tedros Adhanom Ghebreyesus bildirib ki, onun \"trayektoriyasını dəyişdirmək\" ehtimalı da mövcuddur. O, ölkələri ciddi analiz aparmaq və əlaqədə qalmağa dair strategiyalar qəbul etməyə çağırıb. \"Ən başlıcası, etdiyimiz işlərdir. Müdafiə etməklə futbol oyunu qazana bilməzsən. Həm də hücum etməlisən\", deyə o FİFA prezidenti Gianni İnfantino ilə birgə mətbuat konfransında bildirib. O deyib ki, futbolçularla birgə \"koronavirusa hücum\" kampaniyası başladılıb. Dr Tedros insanları evdə qalaraq və məsafə saxlayaraq virusun yayılmasının qarşısını almağa çağırıb. Amma o həmçinin qeyd edib ki, müdafiə tədbirləri qalib gəlməyə yardım etməyəcək. \"Qalib gəlmək üçün virusa sərt və hədəfli taktikalarla - hər şübhəli halı analiz etmək, hər təsdiqlənmiş halı təcrid etmək və ona qayğı göstərmək, hər yaxın əlaqəni izləmək və karantində saxlamaqla hücum etməliyik\". O, tibb işçiləri arasında ölümlərin çox olmasına da toxunub. \"Tibb işçiləri işlərini təhlükəsiz gördükləri zaman effektiv işləyə bilərlər. Biz hətta hər şeyi düz etsək, tibb işçilərinin qorunmasını prioritetləşdirməsək, çox insan öləcək, çünki onların həyatını qurtaracaq işçi xəstədir. Avropada virusa qarşı mübarizə güclənir Britaniyanın Baş naziri Boris Johnson bazar ertəsi gecəsi \"insanların yalnız çox məhdud məqsədlər üçün evlərini tərk etməyə icazə veriləcəyini\" açıqlayıb. Bura əsas ehtiyaclar üçün alış-veriş etmək, gündə bir dəfə idman üçün bayıra çıxmaq, hər hansı bir tibbi ehtiyacı ödəmək və ya evdə işləmək mümkün olmadıqda işə getmək aiddir. Bazar ertəsi İngiltərədə ölənlərin sayı 335-ə çatıb. Dünyanın ən çox zərər görən ölkəsi olan İtaliyada rəsmilər son 24 saatda Covid-19-a yoluxmuş 602 nəfərin öldüyünü və ümumi ölüm sayının 6,077-ə çatdığını bildirib. Lakin bu göstəricilər son 4 gündə ən az rəqəm olduğundan hökumətin tətbiq etdiyi sərt məhdudiyyətlərin təsir göstərməyə başlamasına ümid artıb. İspaniyada isə ölənlərin sayı 462 nəfərin ölümü ilə 27 faiz artaraq 2182-ə yüksəlib. Fransada yeni 186 ölüm halı qeydə alınıb, bununla da ölənlərin sayı 860-a çatıb. Hökumət çərşənbə axşamı günündən karantin tədbirlərini sərtləşdirərək açıq havada idmanı məhdudlaşdıracaq və açıq hava bazarlarını bağlayacaq. Beynəlxalq Olimpiya Komitəsinin üzvü Dick Pound 2020-ci il Tokio Olimpiyadasının koronavirus səbəbiylə bir il təxirə salına biləcəyini deyib. Ancaq bu, hələ BOK-un rəsmi qərarı deyil, qurum qərarını dörd həftə sonra açıqlaya bilər. Hərçənd ki, Avstraliya, Kanada və Böyük Britaniya kimi ölkələr komanda göndərilməsinə dair tərəddüd etdiklərini bildirib. 481 nəfərin öldüyü ABŞ-da əyalət qubernatorları və şəhər merləri federal hökumətdən yardım istəyiblər. Hindistan hökuməti çərşənbə günündən bütün daxili uçuşların dayandırılacağını, Cənubi Afrika Respublikası cümə axşamı günündən 21 günlük karantin elan olunacağını açıqlayıb. Braziliya Prezidenti Jair Bolsonaro Konqresdəki sərt tənqidlərdən sonra şirkətlərə 4 ay müddətinə işçilərə maaş verməməyə imkan verən qərarını geri çəkib. Birləşmiş Millətlər pandemiya ilə mübarizə aparmağa imkan vermək üçün \"qlobal atəşkəsə\" çağırıb. BMT-nin baş katibi António Guterres xəbərdarlıq edib ki, münaqişələr davam edərsə, ən həssas insanlar - \"qadınlar və uşaqlar, əlillər, kənar qalanlar və məcburi köçkünlər\" ən çox əziyyət çəkən olacaq."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40346954", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40366028", "doc1": "উটের পাল সৌদি আরব থেকে কাতারে ফিরে আসছে। ইতোমধ্যে পনের হাজার উট এবং দশ হাজার ভেড়া সীমান্ত অতিক্রম করে কাতারে ফিরে এসেছে। ফিরে আসা উট এবং ভেড়ার পালের জন্য কাতার একটি জরুরী আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। সেখানে পানি এবং পশু খাদ্যের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কাতার যেহেতু একেবারে ছোট একটি দেশ, তাই অনেক কাতারি তাদের উট এবং ভেড়া সৌদি আরবের বিভিন্ন চারণভূমিতে নিয়ে রাখে। এ মাসের শুরুতে সৌদি আরব সহ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে। কাতার ইসলামি জঙ্গীবাদকে মদত দিচ্ছে অভিযোগ তুলে তারা এই পদক্ষেপ নেয়। কাতার অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। আরও পড়ুন : সাদ্দামের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে মার্কিন সৈন্যরা কাতারের পৌর এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিরে আসা উট এবং ভেড়ার পালের জন্য নতুন জায়গা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরেই রাখা হবে। কাতারের একজন কর্মকর্তা জানান,এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার উট এবং ভেড়া সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাম্প্রতিক সময়ে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভেড়া এবং উটের পাল সীমান্ত অতিক্রম করে কাতারে ঢুকছে। কাতারি পশু পালকরা সৌদি আরবের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আলী মাগারেহ নামে একজন রয়টার্সকে বলেন, \"আমরা এসব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাই না। আমরা মোটেই খুশি নই।\" .", "doc2": "Son günlərdə Səudiyyə Ərəbistanının səhra ərazisi sərhədindən çoxsaylı dəvə sürüləri keçib. Bu xəbərdarlıq Qətərin başqa Körfəz ölkələri ilə dərinləşən böhranı fonunda edilib. Qətər rəsmilərinin bildirdiyinə görə, sərhədi artıq 15 min dəvə və 10 min qoyun keçib. Qətərdə su çənləri və yem ehtiyatı olan fövqalədə məqsədli qoruqlar və sığınacaqlar yaradılıb. Qətərlilərin çoxu mal-qarasını Səudiyyə Ərəbistanı ərazisində saxlayır, çünki Qətərin özündə otlaqların sayı kifayət qədər deyil. Bu ayın əvvəlində Səudiyyə və bir sıra digər ərəb dövlətləri Qətərlə diplomatik əlaqələri kəsiblər. Sanksiyalara nəqliyyat xətləri də məruz qalıb. Qətərlə əlaqələri kəsən qonşular bu dövləti İslam ekstremizmini dəstəkləməkdə ittiham edirlər. Qətər bu ittihamları rədd edir. Qətərin rəsmi nümayəndəsi Cassim Qəttan bazar ertəsi Əl-Raya vebsaytına bildirib ki, 25 min dəvə və qoyun artıq Qətərə gətirilib. Son günlərdə sosial media şəbəkələrində yayımlanan videolar Səudiyyə Ərəbistanının səhra ərazisi sərhədindən çoxsaylı dəvə sürülərinin keçdiyini göstərir. Səudiyyə rəsmiləri bundan əvvəl heç zaman qətərlilərin heyvanlarını ölkə ərazisinə otlamağa göndərmələrinə qadağa qoymamışdılar. Ər-Riyadın son qərarı qətərli çobanların qəzəbinə səbəb olub. \"Biz günümüzü yaşamaq, ailələrimizi dolandırmaq istəyirik, - 40 yaşlı Qətər sakini Əli Maqareh Reuters-ə deyib. - Biz siyasətə baş qoşmaq istəmirik. Biz narazıyıq\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54273727", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-54282865", "doc1": "ইয়েমেনে ইউএই সমর্থিত একজন মিলিশিয়া। পাশের দেয়ালে আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি। এ বছর মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে তারা। বিতর্কের তোয়াক্কা না করে আরবদের চিরশত্রু ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছে। যেভাবে করোনাভাইরাস সামলেছে, তা নিয়েও প্রশংসিত হচ্ছে দেশটি। শুধু যে সংক্রমণ দ্রুত আটকেছে তা-ই নয়, কারখানায় রাতারাতি উপযুক্ত যন্ত্র বসিয়ে সংক্রমণ নিরোধক পোশাক (পিপিই) তৈরি করে বিমান ভরে ভরে তা অন্য দেশে পাঠিয়েছে। সেই সাথে, ইয়েমেনে ইরানের প্রভাব এবং সোমালিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের প্রভাব খর্ব করতে ওই দেশগুলোর গৃহযুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে পেছপা হয়নি ইউএই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক নীতি যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক এবং বিশ্লেষকদের বিশেষ দৃষ্টি কাড়ছে, তাতে সন্দেহ নেই। ইসরায়েলের সাথে চুক্তিকে ট্রাম্প বললেন 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর' ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. নায়েল শামা সম্প্রতি রয়টারস বার্তা সংস্থায় তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ক্ষুদ্র জনসংখ্যার ছোট যে উপসাগরীয় দেশটির বিশ্ব পরিসরে বলার মত তেমন কোনো ভূমিকাই ছিল না, সেই দেশটির ‘বিশাল উচ্চাভিলাষ‘ নিয়ে গভীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। লক্ষ্য কী তাদের? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তাদের এই উচ্চাভিলাষ? এ প্রসঙ্গে বিবিসি'র প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার তার এক রিপোর্টে ২১ বছর আগের কসোভো যুদ্ধ চলার সময় তার এক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেছেন। ‘১৯৯৯ সালের মে মাস তখন। কসোভোর যুদ্ধ এক বছর গড়িয়েছে। আলবেনিয়া-কসোভো সীমান্তে একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির স্থাপন করেছে আমিরাত রেড ক্রিসেন্ট। ওই শিবিরে তারাই দুবাই-আবুধাবি থেকে রান্নার লোক, হালাল মাংসের জন্য কসাই, টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি একজন ইমামও উড়িয়ে নিয়ে এসেছে। আমিরাতের সৈন্যরাই ভারী অস্ত্র, সাঁজোয়া যান নিয়ে শিবির টহল দিচ্ছে।‘ আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা থেকে আগের দিন যে হেলিকপ্টারে করে বিবিসির ওই সংবাদদাতা সীমান্তের শিবিরটিতে আসেন, তার চালক ছিলেন আমিরাতের বিমান বাহিনীর এক পাইলট। “শিবিরের বাথরুমে পাশের বেসিনে লম্বা, দাড়িওয়ালা যিনি দাঁত ব্রাশ করছিলেন, তাকে সাথে সাথেই চিনতে পারলাম। তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (দেশটির বর্তমান যুবরাজ)। ব্রিটিশ রয়াল মিলিটারি একাডেমীর স্নাতক। তখন থেকে তিনিই তার দেশের সামরিক ভূমিকা বাড়ানোর পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।“ খুব ইচ্ছা না থাকলেও বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শেখ মোহাম্মদ। তিনি জানিয়েছিলেন, ফ্রান্সের সাথে তারা একটি সামরিক কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ৪০০ ফরাসী ট্যাংক কিনবে ইউএই। বদলে, ফরাসীরা আমিরাত সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফরাসী সৈন্যদের সাথে কসোভোতে মোতায়েন করবে।। “যে দেশটির তখনও স্বাধীনতার ৩০ বছর হয়নি, তাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই সাহসী ছিল,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ইউএই বিমান বাহিনীর মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান আবুধাবি থেকে কসোভোর দূরত্ব ২,০০০ মাইল। এত দূরে ছোট একটি উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের এই সামরিক উচ্চাভিলাষে বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। কসোভোর পরই আফগানিস্তান ইউএই ছিল প্রথম কোনো আরব দেশে যারা নেটো বাহিনীর সমর্থনে ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছিল। এরপর আসে আফগানিস্তান। তালেবানের পতনের পরপরই আমিরাতি সৈন্যরা যে নেটো বাহিনীর সঙ্গী হয়, তা অনেকদিন পর্যন্ত বাকি বিশ্ব তেমন জানতোই না। আমিরাতিরা তখন আফগানিস্তানে স্কুল করে দিয়েছে, মসজিদ বানিয়েছে, খাবার পানির জন্য কুয়ো খুঁড়ে দিয়েছে। “আফগানিস্তানে আমিরাতের তেমন বড় কোনা সামরিক ভূমিকা ছিল না। কিন্তু তারা টাকা-পয়সা এবং ধর্মকে কাজে লাগিয়ে নেটো সৈন্যদের প্রতি স্থানীয় মানুষজনের ক্রোধ-সন্দেহ অনেকটাই প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ‘ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক‘ মাত্র এক কোটি মানুষের ছোট একটি দেশের মধ্যে এই সামরিক অভিলাষ দেখে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাতিস ইউএইর নাম দিয়েছিলেন ‘লিটল স্পার্টা‘ বা ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক। তারপর গত ২০ বছরে, বিশেষ করে গত এক দশকে, ইউএই'র রাজনৈতিক এবং সামরিক অভিলাষের ডানা অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক একটি ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় সামরিক শক্তি হয়ে উঠেছে ইউএই। আরব বসন্তের টালমাটাল অবস্থার পরপরই ইউএই মধ্যপ্রাচ্যের নানা জায়গায় প্রকাশ্যে মাথা গলাতে শুরু করে। এখন লোহিত সাগর অঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকাতেও তাদের ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সমঝোতা: 'আমাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে' ড. নায়েল শামা লিখেছেন, হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ইউএই অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে। প্রধানত আর্থিক সুযোগ সুবিধে দিয়ে তারা কিছু দেশে ‘কিংমেকার‘ হয়েছে, অর্থাৎ তাদের পছন্দমত সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। আবার অনেক জায়গায় ‘পিসমেকারের‘ ভূমিকা নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি ইথিওপিয়া এবং এরিত্রিয়ার মধ্যে দুই দশকের বিরোধ ঘোচানোর পেছনে ইউএই'র বড় ধরণের ভূমিকা ছিল। একই সাথে, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে লোহিত সাগর এলাকার অর্থাৎ মিশর, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সৌদি আরবের চারটি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ইউএই সরকারের দুবাই-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তানে ইউএই স্পেশাল ফোর্স ইয়েমেন, এরিত্রিয়া এবং সোমালিল্যান্ডে ছোটোখাটো সামরিক ঘাঁটিও স্থাপন করেছে ইউএই। তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা এখন আর চেপে রাখতেও চাইছে না ইউএই। এক সাক্ষাৎকারে আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস বিবিসিকে বলেন, “আমরা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হতে চাই। বিশ্বে ভূমিকা রাখতে চাই।“ তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য \"ঝুঁকি নিতে হলেও আমরা তা নেব।\" অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, আরব এবং মুসলিম বিশ্বের বিরাট একটি অংশের রক্তচক্ষুকে পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পিছেনে আমিরাতের অন্যতম উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং গোয়েন্দা প্রযুক্তি জোগাড় করা। কেন এই আকাঙ্ক্ষা কিন্তু যেখানে তারা নিজেরাই এক ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছে, তারপরও ক্ষুদ্র এই রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও তাদের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে শুরু করেছে? অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই উচ্চাভিলাষের পিছেনে মূল তাড়না একটি - ‘রাজনৈতিক ইসলামের‘ ব্যাপারে আমিরাত শাসকদের, বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের, চরম বিরাগ এবং ভীতি। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে আরব বিশ্ব, কতটা রয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য আবেগ-সমর্থন সে কারণেই ইউএই মিশরে ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মোরসি সরকারের বিরুদ্ধে সেনাঅভ্যুত্থানে মদত দিয়েছে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত সরকারকে মেনে নিলেও ইউএই তাদের সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। লিবিয়ায় তারা জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারকে উৎখাতে মিলিশিয়া নেতা খলিফা হাফতারকে সাহায্য করছে। কাতারের বিরুদ্ধে ইউএই‘র প্রধান অভিযোগ যে তারা মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামপন্থীদের সাহায্য করছে। আর মূলত সে কারণেই কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধে তারা সৌদি আরবের সঙ্গী হয়। ড. নায়েল শামা মনে করেন, ইসলামী জঙ্গিবাদকে ইউএই'র শাসকরা অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে, এবং পূর্ব আফ্রিকায় তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক তৎপরতার প্রধান লক্ষ্যই হলো এই ইসলামী জঙ্গিবাদ দমন। এ বছরই মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে আরব আমিরাত পূর্ব আফ্রিকায় ইউএই'র প্রধান প্রধান টার্গেট হলো বোসাও-ভিত্তিক আল ইত্তেহাদ আল-ইসলামী, এরিত্রিয়ার ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট, সুদানের তাকফির ওয়াল হিজরা এবং সোমালিয়ার আল-শাবাব। তুরস্কের সাথে টক্কর এমন কি তুরস্কের এরদোয়ান সরকারের সাথে টক্কর দিতে পিছপা হচ্ছে না ইউএই। এ মাসেই তারা গ্রীসের ক্রিট দ্বীপে গ্রীক সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ভূমধ্যসাগরের জ্বালানি অনুসন্ধানের অধিকার নিয়ে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে যখন তীব্র উত্তেজনা চলছে, সেই সময়ে গ্রীসের সাথে এই যৌথ সামরিক মহড়াকে তুরস্ক উস্কানি হিসাবেই দেখছে। সামলাতে পারবে ইউএই? তবে ইউএই খুব দ্রুত এগুতে চাইছে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল স্টিভেন্স বিবিসিকে বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই ইউএই এখন আরব বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী সামরিক শক্তি। তারা যেভাবে যত দ্রুত দেশের বাইরে সেনা মোতায়েন করতে পারে, সেটা অন্য কোনো আরব দেশ এখনও চিন্তাই করতে পারে না।“ কিন্তু, তিনি বলেন, দেশটি খুবই ছোট এবং সক্ষমতারও অনেক ঘাটতি রয়েছে। “ফলে এক সাথে অনেক সমস্যায় হাত দিলে তারা ঝুঁকিতে পড়বে, এবং দীর্ঘমেয়াদে হিতে বিপরীত হতে পারে।“ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষকে ইউএই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে। আর সে কারণেই, ইরান বিরোধী জোটে অবস্থান নিয়েও ইউএই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ইরানের সাথে সরাসরি কোনো বিরোধে জড়াতে অনিচ্ছুক। তাদের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বিদেশীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে যে সুনাম তারা প্রতিষ্ঠা করেছে, তাতে নিজের ওপর সংঘাতের যেকোন আঁচের সম্ভাবনা নিয়েও শঙ্কিত ইউএই। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও যুদ্ধ হলে সংঘর্ষের সম্ভাব্য কেন্দ্র হবে যে এলাকা, সেই হরমুজ প্রণালীর সাথেই আমিরাতের উপকূল। ইয়েমেনে ত্রাণ বিতরণ করছে আমিরাতের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এলিজাবেথ ডিকিনসন সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে বলেন, “তাদের এলাকায় স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে ইউএই'র বিরাট স্বার্থ রয়েছে। তাদের অবকাঠামোর ওপর কোনও হুমকি তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। অঞ্চলটির সবচেয়ে শক্ত অর্থনীতি বলে তাদের যে সুনাম, যে আস্থা, তা ধসে পড়বে।“ ইউএই'তে বাস করা মানুষের ৯০ শতাংশই বিদেশী। তারাই দেশটির সব ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ এবং দেখাশোনা করে। অনিরাপত্তার কারণে বিদেশীরা চলে যেতে শুরু করলে ইউএই অচল হয়ে পড়বে। সে কারণেই ইরানের সরাসরি সমালোচনা থেকে বিরত থাকে ইউএই। গত বছর জুনে যখন ইউএই'র উপকূলের কাছে সৌদি একটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ হয়, তখনও তারা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে গলা মিলিয়ে ইরানকে দায়ী করতে রাজী হয়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র যখন পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠায়, ঠিক সেই সময়ে হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে ইউএই তেহরানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়, যে পদক্ষেপ মার্কিনীরা পছন্দ করেনি। অব্যাহত যুদ্ধে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার মত আরব বিশ্বের এক সময়কার বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর দুর্বলতায় মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণে তৎপর হয়েছে ইউএই। নিজেদের অসামান্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ইরান নিয়ে ভীতি, জঙ্গি ইসলাম নিয়ে উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভূ-রাজনৈতিক নীতির কারণেও ইউএই'র মধ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা দিনকে দিন বাড়ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যে সাতটি দেশে এখন বাংলাদেশি কর্মীরা সবচেয়ে বেশি যায় বায়োফ্লক: নতুন যে পদ্ধতি বাংলাদেশে দ্রুত বাড়াতে পারে মাছের উৎপাদন কীভাবে একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়", "doc2": "Yəmən döyüşçüsünün yaxın durduğu divarın üzərindəki rəsm BƏƏ-nin mərhum qurucusu şeyx Zayed Əl Nahyanın şəklidir Marsa missiya göndərdi; İsrail ilə tarixi bir sülh sazişi imzaladı; Covid-19 ilə mübarizədə ön mövqelərə çıxa bilib, belə ki, Britaniyanın keçmiş protektoratı fabriklərində yenidənqurma işləri aparıb və Britaniyaya fərdi qoruyucu vasitələr (PPE) yükü ilə dolu bir təyyarə göndərib. Liviya, Yəmən və Somaliyə qədər uzanan məkan üzərində təsir uğrunda Türkiyə ilə baha başa gələn bir strateji mübarizəyə girişib. Görəsən, gələn il müstəqilliyinin 50 illik yubileyini qeyd edəcək BƏƏ-nin qlobal oyunu nədən ibarətdir və oyunçu kimdir? Təsadüfi görüş 1999-cu ilin mayında Kosovo müharibəsi bir ildən çox idi ki, davam edirdi. Albaniya-Kosovo sərhədindəki yaxşı qorunan bir düşərgədə Kosovodan olan qaçqınlarla dolu bir yerdəydim. Düşərgə Əmirliklərin Qızıl Aypara Cəmiyyəti tərəfindən qurulmuşdu və aşpazlardan tutmuş düşərgəni mühafizə edən əsgərlərədək heyət də BƏƏ-dən gətirilmişdi. Düşərgəyə bir gün əvvəl Tiranadan BƏƏ pilotlarının idarə etdiyi helikopterlərdə gəlmişdik. 1990-cı illərdə BƏƏ Albaniya-Kosovo sərhədində Kosovodan olan qaçqınlar üçün çadır düşərgələri qurub Yaxınlıqda dayanan hündür boylu, saqqallı, eynəkli adam Britaniya Kral Hərbi Akademiyasının məzunu, BƏƏ-nin artan hərbi iştirakını istiqamətləndirən Şeyx Məhəmməd ibn Zayed idi. Televiziya üçün müsahibə xahişimə həvəssiz də olsa razılıq verdi. Onun sözlərinə görə, BƏƏ Fransa ilə strateji bir partnyorluq əlaqələri qurub. Bu partnyorluq çərçivəsində Fransadan 400 Leclerc tankının alınması müqaviləsinin bir hissəsi olaraq, fransızlar BƏƏ briqadasını \"qanadları altına\" alaraq Kosovoda yerləşdirmək üçün onlara təlimlər keçiblər. Müstəqilliyini yalnız 30 il əvvəl qazanmış bir ölkə üçün bu, iddialı bir addım idi. Balkanların ucqar hissəsindən Əbu Dabiyədək 3200 km-dən çox bir məsafədə idik, buna baxmayaraq BƏƏ-nin iddiaları Körfəz sahillərindən çox uzaqlara gedib çıxırdı. BƏƏ NATO-ya dəstək olaraq Avropada ordusunu yerləşdirən ilk müasir ərəb dövləti oldu. \"Kiçik Sparta\" Sonra Əfqanıstan başladı. BƏƏ qüvvələri taliblərin süqutundan dərhal sonra, NATO ilə birlikdə səssizcə Əbu Dabinin indiki vəliəhdi şahzadə Məhəmməd ibn Zayedin istiqamət verdiyi bir əməliyyata başladı. 2008-ci ildə Baqram hava qüvvələri bazasında onların xüsusi təyinatlı kontingentinə baş çəkdim və necə işlədiklərini gördüm. Onlar Zirehli maşınlarında səyahət edərək ucqar və yoxsul bir əfqan kəndinə baş çəkib, Quran və şirniyyat qutuları paylayırdılar, yerli ağsaqqallarla görüşürdülər. BƏƏ-nin xüsusi təyinatlı qüvvələri Əfqanıstanda da tapşırıqlar yerinə yetiriblər \"Bir ehtiyacınız varmı? - onlar soruşurdular. - Məscid, məktəb, su quyusu?\" BƏƏ pul yatırımı edirdi, müqavilələr isə yerli tenderlərə ötürülürdü. Əmirliklərin müdaxiləsi kiçik olsa da, ayaq basdıqları hər yerdə pul və dindən istifadə edərək NATO qüvvələrinin yerli əhalidə yaratdığı ağır təəssüratı yumşaltmağa çalışırdılar. Hilmənd əyalətində onlar bəzi ağır döyüşlərdə Britaniya qüvvələri ilə yanaşı döyüşmüşdülər. Keçmiş ABŞ Müdafiə naziri Jim Mattis, sonradan BƏƏ-ni \"Kiçik Sparta\" adlandırırdı - bununla o, bu nisbətən az tanınan, əhalisi 10 milyondan az olan ölkənin necə deyərlər, başından yekə işlər gördüyünə işarə etmişdi. Yəmən: Korlanmış reputasiya Sonra Yəmən və çətinliklərlə dolu bir hərbi kampaniya başladı. Səudiyyə Ərəbistanının şahzadəsi Məhəmməd ibn Salman 2015-ci ildə öz ölkəsini Yəməndəki fəlakətli vətəndaş müharibəsinə qatanda bu işə BƏƏ də qoşuldu, F-16 qırıcılarını Husi üsyançılarına havadan hücum etməyə və əsgəri qüvvəsini ölkənin cənubuna göndərdi. 2018-ci ilin yayında BƏƏ Yəmənin strateji Sokotra adasına qoşunlar göndərdi və Eritreyada icarəyə götürülmüş Assab bazasına hücum üçün qoşunlar yığdı, lakin son anda Hudeydə limanını husilərdən geri almaq üçün qoşunlarını Qırmızı dənizin o biri tayına göndərməkdən çəkindi. Yəməndəki müharibə artıq altıncı ildir ki, davam edir, bu müharibədə aşkar qalib yoxdur və husilər paytaxt Sənada və ölkənin əksər hissəsində möhkəmləniblər. BƏƏ-nin Qırmızı Aypara cəmiyyətinin işçiləri Yəmənin Sokotra adasında yardım paylayırlar BƏƏ qüvvələri bu müharibədə itkilər verib. Misal üçün, tək bir raket zərbəsi nəticəsində 50-dən çox əsgəri qüvvəsi tələf olub - həmin hadisə ilə bağlı ölkədə üç günlük matəm elan olundu. Bu, BƏƏ-nin nüfuzuna da xələl gətirdi: belə ki, Əl-Qaidə ilə əlaqəli silahlı qruplarla tərəfdaşlıq etməsi mövzusu müzakirə olundu, BƏƏ-nin dəstəklədiyi qüvvələrin onlarla məhbusu konteynerdə qıfıllayaraq onları istidə boğub öldürdüyü barədə hesabatlar üzə çıxdı. İsrail: Yeni ittifaq BƏƏ o vaxtdan bəri Yəmənin nəticəsiz və dağıdıcı münaqişəsində iştirakını azaldıb, lakin Türkiyənin bölgədəki artan nüfuzunun qarşısını almaq üçün mübahisəli görünən cəhdlərini davam etdirir. Misal üçün, Türkiyənin Somali paytaxtı Mogadişoda ciddi tərzdə mövcudluğunu təmin etməsi müqabilində BƏƏ separatçı Somaliland ərazisini dəstəkləyir və Ədən Körfəzindəki Berbera şəhərində bir baza inşa etdi. Müharibə şəraitində olan Liviyada BƏƏ, ölkənin qərbində Türkiyə, Qətər və başqalarına arxalanan hökumətin rəqibi Xəlifə Haftarın qüvvələrini dəstəkləyərək Rusiya və Misirə qoşuldu. Sentyabrda, şərqi Aralıq dənizində geoloji kəşfiyyat aparmaq hüququnu müdafiə edən Türkiyə ilə qarşıdurma vəziyyətində olan Yunanıstanla ortaq hərbi təlim keçirmək üçün BƏƏ Krit adasına gəmiləriylə döyüş təyyarələrini göndərib. İndi isə Ağ Evdən gözlənilməz, dramatik bir açıqlama verildikdən sonra, uzun illərdir davam edən gizli əməkdaşlığa rəsmi möhür vuran geniş miqyaslı BƏƏ-İsrail ittifaqı üzə çıxıb. (Səudiyyə Ərəbistanı kimi, BƏƏ də vətəndaşlarını izləmək üçün xəlvətcə İsrailin istehsal etdiyi izləmə kompüter proqramlarını alır). Bu ittifaq səhiyyə, biotexnologiya, mədəni və ticarət təşəbbüsləri kimi geniş bir sahəni əhatə etsə də, İsrailin ən qabaqcıl texnologiyası ilə BƏƏ-nin hüdudsuz maliyyə imkanları və qlobal müstəvidəki iddiaları güclü bir strateji hərbi və təhlükəsizlik əlaqələrini yaratmaq potensialına malikdir. İki ölkənin ortaq düşməni olan İran BƏƏ-nin bu addımını pisləyib, Türkiyə və fələstinlilər də bu hərəkətə eyni münasibət göstərib. Qeyd edilən dövlətlər BƏƏ-ni Fələstinin müstəqil bir dövlət olmaq arzusuna xəyanət etməkdə günahlandırıblar. Ulduzlara çatmaq Əbu Dabinin ambisiyaları bununla bitmir. ABŞ-ın köməyi ilə BƏƏ Marsa öz missiyasını göndərən ilk ərəb ölkəsi olub. 200 milyon dollarlıq \"Ümid\" adlanan proqram çərçivəsində kosmik aparat bir ucqar Yapon adasından havaya qalxdıqdan sonra 126000 km/saat sürətiylə uçaraq fevral ayında 495 milyon km. məsafədəki hədəfə çatmalıdır. Həmin yerə çatdıqdan sonra kosmik aparat Qırmızı planeti əhatə edən atmosfer qazlarını xəritələşdirərək məlumatları Yerə göndərməlidir. BƏƏ-nin kosmik aparatını daşıyan raket iyul ayında Yaponiyaya məxsus adadan kosmik fəzaya göndərilib \"Biz qlobal oyunçu olmaq istəyirik, - BƏƏ-nin Xarici İşlər üzrə Dövlət naziri Ənvər Qarqaş deyib. - Biz maneələri aşmaq istəyirik və bunun üçün bəzi strateji risklər altına girməliyik\". Bununla belə, BƏƏ-nin bu dərəcədə sürətli və iri addımlarla irəliləməsinin bir sonda bir problem yarada biləcəyindən də müəyyən narahatlıqlar var. Körfəz təhlilçisi Michael Stephens qeyd edir ki, \"BƏƏ-nin [Ərəb] bölgəsinin ən təsirli hərbi gücü olduğuna dair, demək olar ki, şübhə yoxdur.\" \"Onlar başqa ərəb dövlətlərinin edə bilməyəcəyi şəkildə uzaq xarici ölkələrə qüvvələrini yerləşdirməyə qadirdilər. Ancaq eyni zamanda ölçü və imkan baxımından məhdudiyyətləri var. Odur ki, eyni anda bu qədər problemlə məşğul olmaq risklidir və uzun müddətdə əks nəticələrə gətirib çıxara bilər,\" - təhlilçi vurğulayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46094628", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/media-42961967", "doc1": "যৌন আসক্তি অনেকের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগের বন্যা শুরু হওয়ার পর ঠিক একবছর আগে চলচ্চিত্র মুঘল হার্ভে উইনস্টেন একটি যৌন আসক্তি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন থেকেই শুরু হয় 'মি টু আন্দোলন।' বিবিসি এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা বলেছেন যে, তারাও যৌন আসক্তিতে ভুগেছেন এটা জানার জন্য যে, সত্যিই এটা আছে কিনা? থাকলে সেটা কেমন? যেমন মধ্য এশিয়া থেকে ১৫ বছর আগে যুক্তরাজ্যে আসা নেইলার প্রথম চাকরি হয় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেডিং ফ্লোরে। যেখানে বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ সহকর্মী, যারা মিলিয়ন পাউন্ড বোনাস অর্জন করতেন। পুরো দলে ছিল মাত্র দুইজন নারী। ফলে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা প্রায়ই বড় পর্দায় পর্ন চালিয়ে তাদের উস্কানোর চেষ্টা করতেন। ''আমি সেটা পছন্দ করতাম না, কিন্তু আমার প্রথম চাকরি, এই শহরে প্রথম এসেছি। বেতন ভাতাও ভালো এবং বেশ গর্বের চাকরি, সুতরাং আমি সেটা হারাতে চাইনি,'' বলছেন নেইলা। আরো পড়ুন: 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই 'নেশা'? ''আমি জানি, অফিসের পুরুষ সহকর্মীরা আমার প্রতিক্রিয়া দেখার চেষ্টা করছে। সুতরাং আমি বাসায় চলে গিয়ে নিজে থেকেই পর্ন ভিডিও দেখা শুরু করি, যাতে অফিসে সবার সামনে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে না হয়।'' কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি নেইলা এতে আসক্ত হয়ে পড়েন। সামাজিক এবং রক্ষণশীল নেইলার পরিবারে কখনো যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হতো না। '' আমি বাসায় চলে গিয়ে নিজে থেকেই পর্ন ভিডিও দেখা শুরু করি, যাতে অফিসে সবার সামনে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে না হয়,'' বলছেন নেইলা। ফলে এ বিষয়টি তার জন্য অনেকটা প্রতিরোধহীন হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন সে চিন্তা করতো, কত তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে পারবে এবং একটি পর্ন চলচ্চিত্র বেছে নিয়ে দেখতে শুরু করতে পারবে। সে সময় তিনি সেক্স টয় ব্যবহার করে স্বমেহন করতেও শুরু করেন। ''এটা আস্তে আস্তে শুরু হয়, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আপনি তাতে জড়িয়ে পড়বেন। পুরো ব্যাপারটার ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, কারণ আপনি জানেন, আপনি বাটন না চাপা পর্যন্ত সেটা বন্ধ হবে না। এটা আপনাকে তৃপ্তি দিচ্ছে, যা আপনি অন্য কোন মানুষের সঙ্গে পাবেন না- কোন পুরুষের সঙ্গে তো নয়ই,'' বলছেন নেইলা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বুধবার আবারো সংলাপে বসছে সরকার শ্রীলঙ্কা: ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশে ক্ষমতার লড়াই আওয়ামী লীগ-হেফাজত মৈত্রী: সেকুলাররা কি ভাবছেন? এ জন্য তিন চার ঘণ্টা করে পর্ন দেখতেন নেইলা, সপ্তাহের প্রতিদিন। এমন হয়েছে, পর্ন না দেখলে তার অস্থির লাগতে শুরু করতো। কিন্তু নিয়মিত পর্ন দেখা একসময় তাকে আরো অন্ধকার দিকে নিয়ে যায়। ''প্রথম প্রথম হয়তো আপনি স্বাভাবিক পর্ন দেখতে শুরু করেন, যেমন পুরুষ-নারী বা নারীদের সঙ্গে নারী। কিন্তু কিছুদিন পরে সেটি আর কাজ করে না। আপনার শরীর তখন আরো কিছু চাইতে শুরু করে- অনেকটা মাদকে আসক্তির মতো, ক্রমেই আপনাকে ডোজ বাড়াতে হয়। সুতরাং পর্নের ক্ষেত্রেও দিনে দিনে আরো কড়া পর্নের দিকে আসক্তি বাড়ে।'' অনেক নারী ও পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পল, যিনি এখন এই আসক্তি থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ''সুতরাং এরপর আপনি অ্যানাল, গ্যাং ব্যাং বা এ ধরণের চরম যৌনতার পর্নের দিকে আসক্ত হয়ে পড়বেন।'' এটা ছিল নেইলার জন্য খুবই অস্বত্বিকর, যিনি তখন নিজেকে একজন 'বিকৃত' মনের মানুষ বলে ভাবতে শুরু করেন। এই লজ্জার বিষয়টি তাদের সবার জন্যই একটি বড় বিষয়, যারা নিজেদের যৌন আসক্ত বলে মনে করেন। লজ্জা তাদের নিজেদের লুকিয়ে রাখার তাড়না দেয় এবং আরো গভীরতার দিকে ঠেলে দেয়। পর্নের কারণে মানুষের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টে দেয়। নেইলা যখন একজন সম্ভাব্য সঙ্গীর দিকে তাকাতেন, তার ব্যক্তিত্ব এবং চরিত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার কাছে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হতো। ''আমি হয়তো তাদের শার্টের ভেতর দিয়ে তাকাতাম যে, তার শরীরে পেশি কতটা আছে? যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাভাবিক যৌনাঙ্গের আকার আমার জন্য যথেষ্ট ছিল না... কিন্তু এটা তো একজন জীবনসঙ্গী বেছে নেয়ার জন্য ভালো হতে পারে না,'' বলছেন নেইলা। বেশ কয়েকটি সম্পর্ক তার ভেঙ্গে যায়। ''আমি নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করি, এরপরে কি?'' যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ না মানলেও, যৌন আসক্তিকে একটি রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নেইলা শহর ছেড়ে চলে যান এবং একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসাবে পুনরায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখন তার বয়স ৪০, অন্য যৌন আসক্তদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে যে হাতেগোনা কয়েকটি ক্লিনিক এ ধরণের সেবা দিয়ে থাকে, তিনি তার একটিতে কাজ করেন। কিন্তু এ ধরণের চিকিৎসা নিতে হলে অর্থ খরচ করতে হয়। কারণ যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এখনো এ ধরণের সমস্যাকে রোগ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু দেশটিতে প্রতিবছর কয়েকশো মানুষ এ সমস্যার চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এর কারণ হতে পারে, নারীরা এই বিষয়ে বেশি লজ্জায় ভোগে এবং সমস্যাটি স্বীকার করতে বেশি দ্বিধায় পড়ে। যেসব পুরুষ এই চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের একজন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা পল। তিনি পর্ন চলচ্চিত্রে নয়, যৌনতায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এখন ৫০ বছরের পলের আসক্তি শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, তার ৩০ বছর বয়সে। তখন তার একজন বান্ধবী ছিলেন, কিন্তু একসময় পল অনুভব করতে পারেন যে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট নন। ''আমি তাকে সত্যিই ভালবাসতাম, কিন্তু যে কারণেই হোক, আমি একজন যৌনকর্মীর কাছে যাই,'' তিনি বলছেন, '' আমি একটা বেপরোয়া যৌন অভিজ্ঞতার জন্য অনেকটা ব্যাকুল ছিলাম। আমি জানতাম, এটা আমার করা উচিত না, কখনোই আমি তার প্রতি অবিশ্বস্ত হইনি, কিন্তু পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে আলাদা মনে হচ্ছিল।'' কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তার আচরণ পুরো বদলে যায়। ''সে সময় ছয়জন বান্ধবী ছিল এবং সপ্তাহে আমি দুই বা তিনজন যৌনকর্মীর কাছেও যেতাম। এটা যেন একটা পিৎজ্জার অর্ডার করার মতো ব্যাপার, যেহেতু আমি ক্ষুধার্ত। আমি কিছু চাইছি, অর্ডার দিচ্ছি এবং পরে সেটা ভুলে যাচ্ছি।'' পল বলছেন, একটি সময়ে তার মনে হয়েছে, যৌন আসক্তি তাকে একাকী করে ফেলছে। তিনি বলছেন, তিনি জানতেন যে তিনি ভুল কিছু করছেন। যখন তিনি ভাবতে শুরু করেছেন যে, এ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনবেন, তখনি তিনি লন্ডনে প্রথম চাকরিতে ফিরে যান। সেখানে এমন পরিবেশে জড়িয়ে ফেলেন, যা তাকে এধরণের কাজে উদ্বুদ্ধ করে। ''জীবন ছিল অবিশ্বাস্য। বিশ্বের নানা স্থানে ঘোরাফেরা করা, অনেক টাকা আয় করা, লন্ডনের নাচের বারগুলোয় ঘুরে বেড়ানো-আপনি এমন সব লোকজনের মাঝে নিজেকে দেখতে পাবেন যারা যৌন উত্তেজনা নিয়ে কাজ করে।'' পল মনে করছেন, ''সুতরাং তখন মনে হলো, এটা নিশ্চয়ই কোন সমস্যা নয়, আমি স্বাভাবিক একজন মানুষ।'' নেইলার মতো পলও বলছেন, ক্রমেই তিনি আরো ''গভীরতা'র দিকে যেতে থাকেন। ''আমি নারী থেকে পুরুষের প্রতি আকর্ষিত হলাম। এটা যেন এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ের উত্তেজনা খোঁজা। সে সময়েও আমার অনেক চমৎকার সব বান্ধবী ছিল।'' পল বলছেন। নেইলার মতো পলও বলছেন, যৌনতায় না জড়ালে তিনি যেন অস্থির হয়ে পড়তেন। তবে পর্নের প্রতি পল আকর্ষিত হয়েছেন অনেক পরে। বারো বছর বয়সে বাসায় প্রথম একটি পর্ন ম্যাগাজিন দেখলেও, উচ্চগতির ইন্টারনেট আসার পর তিনি পর্নের প্রতি আসক্ত হন। তখন যৌনকর্মীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে তিনি বাসায় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর্ন দেখতে শুরু করেন। লন্ডনের লরেল সেন্টার থেকে দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ নিয়েছেন পল এবং এখন তিনি ভালোর পথে রয়েছেন বলে মনে করেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি কোন যৌনকর্মীর কাছে যাননি এবং গত কয়েকমাসে কোন পর্ন সিনেমাও দেখেননি। এখন তার লক্ষ্য শুধুমাত্র একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো। \"এটা আসলে একাকীত্বের একটি রোগ... একটা সময়ে আপনার মনে হবে, আপনি এই পৃথিবীতে আর অল্প কিছুদিন বেঁচে আছেন। আমার কখনো এমন কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়নি যাকে নিয়ে আমি ভাবি এবং যাকে ভালোবাসি। গত ত্রিশ বছর ধরে এটাই আমি পাইনি।'' গত জুনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অস্বাভাবিক যৌন আচরণকে একটি রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপরেও অনেক দেশে এখনো এটি যথাযথ স্বীকৃতি পায়নি। এমনকি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ একে এখনো রোগ বলে মেনে নেয়নি। তবে দেশটির এমন অনেক বাসিন্দা বলেছেন, তাদের বিশ্বাস, তারা যৌন আসক্ত। কিন্তু এটা রোগ কি রোগ নয়, তার চেয়েও জরুরী বিষয়, এই মানুষগুলো এমন একটি সমস্যায় ভুগছে, যা তাদের জীবনকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: হেফাজত ও আওয়ামী লীগ সখ্যতা: শুধু ভোটের জন্য? 'অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে' বললেন হাসিনা ও শফী ক্রিকেটার সাকিব আইসক্রিম কিনতে যাবেন কিভাবে? সৌদি আরব: রাজপরিবারের ভেতর কী ঘটছে?", "doc2": "Suriyanın İdlib bölgəsində erkən doğulan körpələrin saxlandığı hospital bir neçə gün əvvəl hava hücumuna məruz qalıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40652345", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40654234", "doc1": "অনলাইন নির্ভর এক জীবন তরুণ-তরুণীদেরকে আরো উদ্বিগ্ন, অসম্পূর্ণ ও ভীত করে তুলতে পারে, বলছে গবেষণা। ডিচ দ্য লেবেল নামের একটি অ্যান্টি-বুলিয়িং বা পীড়ন-বিরোধী দাতব্য সংস্থা এই গবেষণাটি চালিয়েছে। এই গবেষণা জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৪০%-ই বলছে, কেউ যদি তাদের সেলফিতে লাইক না দেয়, তাহলে তারা খারাপ বোধ করে। আর ৩৫% বলছে তাদের কি পরিমাণ ফলোয়ার বা অনুসারী তার উপর সরাসরি নির্ভর করে তাদের আত্মপ্রত্যয়ের ব্যাপারটি। প্রতি তিন জনে একজন বলছে তারা সারাক্ষণই সাইবার-বুলিয়িংয়ের বা পীড়নের আতঙ্কে থাকে। একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে শিশুরা 'বৈরিতার সংস্কৃতির' মধ্যে বেড়ে উঠছে। দশ হাজার তরুণ তরুণীর উপর এই জরিপটি চালানো হয়। এদের বয়েস ছিল ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে। এই জরিপে বেরিয়ে এসেছে সাইবার-বুলিয়িং ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। ৭০% অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছে যে তারা অনলাইনে অন্যের উপর পীড়নমূলক আচরণ করে। ১৭% দাবী করেছে তারা অনলাইনে পীড়নের স্বীকার হয়েছে। অর্ধেকই বলেছে যে তারা অনলাইনে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া খারাপ আচরণগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় না। গবেষণায় আরো জানা যাচ্ছে, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সবচাইতে বেশী ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। আরো পড়ুন: ভূমিকম্প প্রবণ স্থানে গভীর গর্ত খুঁড়ছে কেন ভারতীয়রা? জার্মান গানের স্কুলে বহু ছেলে যৌন নির্যাতনের শিকার", "doc2": "Gənclərə qarşı zorakılıq və şiddətə qarşı mübarizə aparan Ditch the Label adlı təşkilatının apardığı araşdırmaya görə, gənclərin yüzdə 40-ı kimsə selfilərini bəyənmədikdə özlərini pis hiss edirlər. Yüzdə 35 nəfər isə onlara qarşı etimadın təqibçi sayına bağlı olduğunu bildirib. 12 və 20 yaş arasındakı 10 min uşaq və gənc arasında aparılan araşdırma kiber zorakılığın gedərək yayıldığını müəyyən edib. Hər üç nəfərdən biri internetdəki görüntülərindən dolayı isitsmara və zorakılığa məruz qalmaqdan qorxurlar. Araşdırma iştirakçılarının təqribən yüzdə 70-i internetdə başqa birinə qarşı istismarçı davranış nümayiş etdirdiklərini, yüzdə 17-si isə kompüter başında zorakılığa məruz qaldıqlarını söyləyiblər. İştirakçıların yarısı həyatları ilə bağlı pis şeylərdən bəhs etmədiklərini, sosial şəbəkəyə sadəcə həyatlarının \"uydurulmuş\" versiyasını təqdim etdiklərini ifadə ediblər. Ditch the Label yardım təşkilatının başçısı Liam Hackett insanların gedərək həqiqəti göstərməkdən yayındıqlarını söyləyib. Hackett \"İnternet sadəcə zorakılıq iqlimini müəyyənləşdirmir. Eyni zamanda gənc istifadəçilərin şəxsiyyətinə və davranışlarına çox böyük təsir göstərir\" deyib. Böyük Britaniyadakı mütəxəssislər valideynlərin də eyni şəkildə sosial şəbəkəyə bağlı olmasının bu təsirləri artırdığına diqqəti yönəldiblər. Bir mütəxəssis \"Ata-anaların uşaqlarına həyatın sosial şəbəkələrdən və bu şəbəkələrin yaratdığı təmtəraqlı rəsmdən daha artıq olduğunu öyrətmələrinin zamanı gəlib\" deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-38740928", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38784337", "doc1": "সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিস অ্যান্ড গাইনোকলোজি ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সী ৭ হাজার মহিলার উপর এই সমীক্ষাটি চালায়। এদের সবারই রয়েছে নিয়মিত যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা। সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। এটা সব বয়সী নারীর ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। পঞ্চাশ এবং ষাট বছরের মাঝামাঝি বয়েসী নারীরা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। আবার হতে পারে ১৬ থেকে ২৪ বছরের তরুণীদেরও। এটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। চিকিৎসায় এই সমস্যা ঠিক হতে পারে। গবেষণায় বেরিয়ে আসছে, একজন নারী নানা কারণে বেদনাদায়ক সঙ্গমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটা হতে পারে শুষ্ক যোনি, সঙ্গম চলাকালে উদ্বিগ্ন থাকা কিংবা নিরানন্দ সঙ্গম। তবে যৌনবাহিত কিছু রোগের কারণেও এটা হতে পারে। গবেষণায় অংশ নেয়া কিছু নারী বলছেন, সঙ্গম তাদের এতই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা দেয় যে তারা সঙ্গম করা থেকে বিরত থাকছেন। আরো পড়ুন: ট্রাম্পকে আলেপ্পোর টুইটার বালিকার খোলা চিঠি ডিসপ্যারেনিয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। (ছবিটি প্রতীকি) লন্ডনের ৬২ বছর বয়েসী ক্যারেন (ছদ্মনাম) বলছেন, ৪০ বছর বয়েস থেকে তার এই সমস্যাটা হচ্ছে। তিনি বলছেন, \"আমার স্বামী যদিও আমার সমস্যাটা বুঝতে পারতেন, তারপরও তাকে এক পর্যায়ে ভয় পেতে শুরু করি আমি\"। ক্যারেন আরেকটি সমস্যার কথা বলেন, কোন কিছু তার যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ করানোর উপক্রম করলেই আপনাআপনি তার যোনিপথ সংকুচিত হয়ে যেত। এটা শুধু সঙ্গমের ক্ষেত্রেই নয়, কোন ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গিয়েও এটা হত, বলছেন ক্যারেন। পরে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং ডাক্তার তাকে ঔষধ দেন। \"মহিলাদের জানা দরকার এ ধরণের সমস্যার জন্য সাহায্য পাওয়ার উপায় আছে। কিন্তু সেটা যথাসময়ে করতে হবে\", বলছেন ক্যারেন। \"অনেক মহিলা এটা নিয়ে কথা বলতে চান না। আমরা সন্তান জন্ম দেয়ার সময়কার ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিস্তারিত আলাপ করি, কিন্তু আমাদের প্রজন্মের মহিলারা সঙ্গম এবং ঋতুস্রাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে আগ্রহী না। আমাদের কথা বলা উচিত\"। প্রধান গবেষক ড. ক্রিস্টিন মিচেল বলছেন, শুধু বয়স্ক নারীরাই যে যৌন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বিব্রত হন তা নয়, এই প্রবণতা সব বয়সের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। এদিকে ক্যানাডায় ২শ জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর উপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে তাদের অর্ধেকের ক্ষেত্রেই প্রথম সঙ্গমের অভিজ্ঞতা ছিল বেদনাদায়ক। ড. মিচেল এই পরিস্থিতি এড়াতে, তরুণ-তরুণীদের যৌন শিক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।", "doc2": "Bunun səbəbi həm fiziki, həm də psixoloji ola bilər. Biz seks həyatı ağrı ilə müşahidə olunan dörd qadınla danışmışıq. \"İldə bir dəfə sekslə məşğul olurduq\" 34 yaşlı Natasha Kilby adaxlısı ilə sekslə məşğul olarkən ağrılar keçirib. Müalicələrdən sonra cütlük 2016-cı ilin dekabr ayında evləniblər. \"Problem universitetdə başlayıb. Hər dəfə seks haqqında düşünəndə özümü çox pis hiss edirdim və istəmirdim o mənə yaxın dursun\". \"Nəhayət mənə diaqnoz qoydular - kandidozun nadir forması. Daha sonra isə ağrılara görə psixoloji problemlər yaşamağa başladım\". \"Mən ancaq möhkəm içəndən sonra sekslə məşğul ola bilirdim. Bütün bunlar adaxlımı hirsləndirirdi\". Kişilər seks haqqında necə düşünürlər? Cənubi Qafqazda seks-şoplar: ümumqafqaz ayıb? Niyə insanlar sekslə daha az məşğul olur? \"Məndə belə bir hiss var idi ki, münasibətlərimiz həqiqi deyil. Bir müddət ildə yalnız bir dəfə sekslə məşğul olurduq\". \"Bu problemi həll etmədən ərə getmək istəmirdim. Hesab edirdim ki, cinsi həyatımızın yanaq öpməkdən ibarət olduğu müddətdə məndən əsl həyat yoldaşı çıxmaz\". \"Mən məsləhətlərə getməyə başladım və bunun mənə köməyi dəydi. İndi münasibətlərimiz yaxşılaşıb\". \"Əvvəllər uşaq haqqında fikirləşmək real deyildi. Bu gün isə hər şey bir xeyli daha yaxşıdır\". \"Mən seks istəyirəm, lakin bacarmıram\" 19 yaşlı Hanna Bradley seks zamanı həmişə ağrı hiss edib. \"Seks üç il bundan əvvəl, elə başlanğıcdan ağrılı idi. Mən həkimə getdim, o, kontraseptiv vasitələri dəyişməyimi təklif etdi\". \"Sonra məni vaginizmdən müalicə etdilər. Heç bir müalicənin köməyi dəymədi\". İki ay boyunca psixoseksual müalicəyə pul xərclədim. Lakin, mən əminəm ki, problemim emosional deyil, fizikidir. İndi onlar fikirləşirlər ki, mənə cinsiyyət orqanının daralması var\". \"Sekslə məşğul ola bilməməyim mənə çox çətin gəlirdi. Bununla barışa bilmirdim\". \"Dostlarımla normal danışa bilmirdim. Mənə elə gəlirdi ki, onların həyatını başa düşmürəm\". \"Mənə çətin idi və onlara həsəd aparırdım. Özümü başqalarından fərqli hiss edirəm. Mənim yaşda olan insanların əksəriyyəti aktiv cinsi münasibətdə olurlar, mən isə bacarmıram\". \"Bu hələ də məni narahat edir. Adaxlım hər şeyi başa düşür, ancaq bu, onu da narahat edir. Mən seks istəyirəm, lakin bacarmıram\". \"Ümid edirəm ki, vəziyyət tezliklə düzələcək. Lakin problemimin nə olduğunu heç kim bilmir\". \"Mən hələ də cavanam və seks, həyatımın bir hissəsi olmalıdır\". \"Həmişə özümü günahlandırmışam\" 20 yaşlı Sara (ad dəyişdirilib) güclü ağrılara görə sekslə məşğul ola bilmir. Buna görə də sevgilisindən ayrılmalı olub. \"Müntəzəm cinsi münasibət get-gedə daha çox ağrılı prosesə çevrilirdi. Daha sonralar bu ağrılar o qədər güclü oldu ki, seks sadəcə mümkünsüz idi\". \"Cinsiyyət orqanım elə sıxılırdı ki, istənilən yaxınlıq cəhdi dəhşətli ağrı ilə yekunlaşırdı\". \"Bütün bunlar həm fiziki, həm də psixoloji vaginizm simptomları ilə üst-üstə düşürdü, ona görə də qərara gəldim ki, universitetimizdəki klinikaya müraciət edim\". \"Tibb bacısı hər gün barmağımla cinsiyyət orqanıma toxunmağımı və bir neçə aydan sonra nəticəsinə baxmağımı məsləhət gördü\". \"Bütün bunların heç bir faydası olmadı. Bundan sonra özümə əminliyim daha da azaldı\". \"Daha sonra terapevtim problemin tamamilə psixoloji ola biləcəyini dedi: beynim seksi ağrı ilə əlaqələndirir, ona görə də bədənim onu ağrıya çevirir\". \"Buna görə mən getdikcə daha çox qəzəb və qorxu hiss etməyə başladım, özümü natamam hiss edirdim\". \"Mən təkcə seksdən deyil, istənilən yaxınlıqdan qorxuram. Hər kəsə qarşı marağımı itirmişəm\". \"Bütün bunlar münasibətlərimi gərginləşdirir, gündəlik mübahisələrə səbəb olur, ancaq özümü günahlandırıram\". \"Həmişə hesab etmişəm ki, bütün münasibətlərim mənim günahım ucbatından korlanıb, qüsurlu bədənimə görə\". \"Başa düşdüm ki, bu cür yaşamaq mümkün deyil, həmişə özümü günahkar hesab edə bilmərəm\". \"Bilmirəm mənə nə kömək edə bilər, lakin bir müddət bu cür yaşamalı olacağımı qəbul etmişəm. Bu müddətdə hansısa münasibətlərimin mümkün olacağını da düşünmürəm\". Saranın sözlərinə görə seks öncəsi ağrılar depressiyaya səbəb olub \"Bu ağrıların psixoloji nəticələri daha sarsıdıcıdır, nəyinki fiziki. Mən sekslə məşğul ola bilmədiyimə görə utanc hissi keçirirəm\". \"Bu pozğunluğun səbəblərini aydınlaşdırmaq lazımdır. Biz hamımız erektil disfunksiyanın nə olduğunu bilirik, lakin, ağrılı cinsi münasibətin qadının sağlamlığına necə təsir etdiyini təsəvvür belə etmirik\". \"Bütün inamımı itirmişəm\" 68 yaşlı Margaret (ad dəyişdirilib) cinsi münasibət zamanı keçirdiyi ağrılara görə əri ilə 16 ildir sekslə məşğul deyil. \"İnsanın fiziki və emosional vəziyyəti arasında əlaqə var. Əvvəllər biz tez-tez sekslə məşğul olardıq, heç vaxt ağlıma da gəlməzdi ki, başıma belə iş gələcək\". \"Terapevtlər məni ciddi qəbul etmirlər. Onlar deyirlər ki, mənim yaşda qadın üçün seksdən həzz gözləməyə dəyməz\". \"Mən artıq bununla barışmışam, lakin bütün bunlar münasibətlərimizə təsirsiz ötüşmür. Ərim deyir ki, seksin olub-olmamasının onun üçün heç bir fərqi yoxdur\". \"Lakin mənim üçün bu vacibdir və məni çox narahat edir. Mənə elə gəlir ki, ərimi aldadıram, onu normal cinsi həyatdan məhrum edirəm\". \"Nə vaxtsa mənə elə gəlirdi ki, vəziyyət düzələ bilər. Lakin indi normal cinsi həyatımızın olacağı fikrindən daşınmışam\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51672499", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51707947", "doc1": "একজন এমপি জাপান থেকে ফেরার পর পুরো থাইল্যান্ড পার্লামেন্ট জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে বড় শহরগুলোতে যেখানে বহু মানুষের কাজ আর বসবাস - সেখানে এখন এই মহামারিই বড় উদ্বেগের কারণ। এগুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এখানে দেখুন বিশ্বজুড়ে নানা শহরে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: গণ পরিবহনও ভাইরাস ছড়ানোর আরেকটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র গণ পরিবহন ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলা গণপরিবহন। থুথু, কফ বা সর্দি - এসবের মধ্যে দিয়েই ভাইরাস প্রধানত ছড়ায়। ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় চালানো এক সমীক্ষা বলছে, ফ্লু'র সময়ে যারা গণপরিবহন ব্যবহার করে তাদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের সম্ভাবনা ছয় গুণ বেশি। আর এসব কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইটালি কিংবা ইরান পর্যন্ত সব দেশই ট্রেন ও বাস স্টেশনগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে? করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা জাপানে বড় জমায়েতে না আসতে বলা হচ্ছে বড় জমায়েত যেসব ইভেন্টে অনেক মানুষ জমায়েত হয় - যেমন খেলার মাঠ - এগুলো হলো ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাব্য ক্ষেত্র এবং এমন অনেক জায়গা ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে অনেকে। মহামারির কারণে সাংহাইতে চাইনিজ ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি স্থগিত করা হয়েছে। ষষ্ঠ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগও বিলম্বিত হচ্ছে। ইউরোপে রাগবি ও ফুটবলের যেসব প্রতিযোগিতায় ইটালির অংশগ্রহণ আছে - সেগুলো স্থগিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন অলিম্পিকে, যেটি টোকিওতে শুরু হওয়ার কথা আগামী ২৪শে জুলাই। ইতোমধ্যেই টর্চ রিলের আকার ছোট করা হয়েছে এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে এবারের অলিম্পিক স্থগিত করে দেয়ার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়নি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। খেলাধুলার বাইরে বেশ কিছু ধর্মীয় জমায়েতেও নানা বিধি নিষেধ আসছে। সৌদি আরব ইতোমধ্যেই বিদেশীদের জন্য ওমরাহ বন্ধ করেছে। বন্ধ করা হয়েছে মক্কা ও মদিনায় ভ্রমণও। কয়েকটি শহরে লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে স্কুল বিভিন্ন দেশের সরকার থেকে স্কুলগুলোকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জাপান, থাইল্যান্ড, ইরান ও ইরাক - স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্কুল বন্ধ করতে বলে নি। তবে ইংল্যান্ডের চারটি স্কুল ইটালিতে একটি স্কিইং ট্রিপ থেকে কয়েকজন ফিরে আসার প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর জন্য ক্লাস বাতিল করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত দেশগুলোতে যে অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে সম্প্রতি ভ্রমণে গেছেন - তাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাদের সন্তানদের আপাতত স্কুলে না পাঠানোর কথা বলেছে। অনেক জায়গায় কর্মীদের বাড়িতে থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে অফিস বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। সান ডিয়েগো ও সান ফ্রানসিসকোতে জনস্বার্থ বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং কর্মীদের কারখানায় বাইরে থেকে আসা কারও সাথে হ্যান্ডশেক না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফেসবুক মার্চে হওয়ার কথা তার একটি বার্ষিক মার্কেটিং কনফারেন্স বাতিল করেছে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার সিকিউরিটি কনফারেন্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে অনেক স্পন্সরসহ নানা প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র লোকজনকে ফোন বা অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে - বিশেষ করে যদি কারও গায়ের তাপমাত্রা বেশি মনে হয়। ফেস মাস্ক ব্যবহার করছে অনেকেই জনসচেতনতা জনসচেতনতা বাড়ানো এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেমন হাত ধোয়া - যা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, সেগুলো হলো: ১. নিয়মিত হাত ধুতে হবে ২. মুখ ও নাক ঢেকে রাখা ৩. রেসপিরেটারি সমস্যায় আক্রান্তদের কাছ থেকে দুরে থাকা ৪. বন্য প্রাণী বা খামারে থাকা প্রাণীর কাছে সুরক্ষা ছাড়া না যাওয়া হাসপাতাল যেহেতু করোনাভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি - তাই হাসপাতালগুলো চেষ্টা করছে কিভাবে লক্ষণগুলো কমানো যায়। রোগীদের আলাদা কক্ষে রাখা ও কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ধারণা করছে ভাইরাস আরও ব্যাপকভাবে ছড়ালে জরুরি রোগীদের গুরুত্ব দেয়া হবে বেশি ও বাকীদের জন্য ফোনে পরামর্শ দেয়া হবে। আইসোলেশন/ কোয়ারেন্টিন যুক্তরাজ্যে যারা আক্রান্ত এলাকা ভ্রমণ করে এসেছে তাদের স্ব-উদ্যোগে কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে। চীনের উহান - যেখান থেকে মহামারী শুরু - সেই শহরটিই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। একই ব্যবস্থা নিয়েছ ইটালি। ভ্রমণকারীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তে বা বিমানবব্দরে তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এসব পদক্ষেপ কাজ হবে কমই। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, শহর বিচ্ছিন্ন করে দিলে পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা আছে। এতে ব্যাহত হতে পারে জরুরি খাদ্য ও ঔষধ ডেলিভারির মতো কাজও। কেউ কেউ বরং পরামর্শ দিচ্ছেন রোগীদের সামলায় এমন ডাক্তার-নার্স ও অন্য কর্মীদের আলাদা করে রাখার।", "doc2": "Deputatlardan birinin Yaponiyaya səfər etdiyi bilinəndən sonra Tayland parlamentində dezinfeksiya tədbirləri həyata keçirilib Əhalinin sıx olduğu böyük şəhərlərdə epidemiyanın yayılması eytimalı yüksəkdir. Aşağıdakı qaydalara əməl etməklə bu təhlükəni azaltmaq olar. İctimai nəqliyyat Virus ictimai nəqliyyatdakı oturacaqlara və tutacaqlara təmas vasitəsilə yoluxa bilər (şəkildə - Tehranda ictimai nəqliyyat) İctimai nəqliyyat virusun yayılması üçün ideal məkandır. Virus hava yoluyla - xəstə insan asqıranda və ya öskürəndə havaya sıçrayan çox kiçik tüpürcək damcıları vasitəsilə yayılır. Bir neçə araşdırmanın nəticələrinə görə, ictimai nəqliyyatdan istifadə edən şəxslərin virusa yoluxma ehtimalı 6 dəfə çoxdur. Ona görə də Cənubi Koreyadan İrana qədər bir çox ölkələrdə hökumətlər qatarlarda, avtobuslarda və dayanacaqlarda səthlərin təmizlənməsi tədbilərinə strat veriblər. Kütlələr Yaponiya hökuməti insanlardan bir yerə toplaşmamağı xahiş edir Kütləvi tədbirlər, məsələn, idman yarışları yoluxma təhlükəsini artırır. Bir çox ölkələrdə belə tədbirlər artıq təxirə salınmağa başlayıb. \"Formula-1\" yarışmasının Şanxayda keçiriləcək mükafatlandırma mərasimi də \"Covid-19\" virusuna görə başqa tarixə keçirilib. Eyni qərarı Asiya çempionlar liqasının 6 oyunu üçün də tətbiq etmək lazım gəlib - buna görə İranın dörd komandasının qrafikində dəyişikliklər baş verib. Avropada İtaliya komandalarının iştirak etməli olduğu reqbi və futbol oyunlarını ləğv ediblər. Hətta 24 iyulda Tokioda başlamalı olan \"Olimpiada-2020\" də təxirə salına bilər. Hələlik yalnız olimpiada məşəliylə bağlı marafondan vaz keçilib, ancaq epidemiya pandemiya mərhələsinə keçərsə, Beynəlxalq Olimpiya Komitəsi oyunları da təxirə slamaq barədə qərar verə bilər. Koronavirus bəzi dini mərasimlərə də təsir edib. Səudiyyə Ərəbistanı Məkkə və Mədinə şəhərlərinə zəvvar ziyarətini müvvəqəti olaraq qadağan edib. Məktəblər Tailand, İran, İraq və İtaliya məktəblərdə tətil elan edib Dünyanın bir çox ölkələrində koronavirusa görə hökumətlər ibtidai və orta siniflərdə iş rejiminin dəyişməsini tövsiyə ediblər. Tayland, İran, İraq və İtaliyada məktəb və universitetlər müvəqqəti olaraq bağlanıb. Britaniya və ABŞ-da isə məktəblərin fəaliyyətinə ara vermək tövsiyə olunmur. Koronavirusun geniş yayıldığı ölkələrə təzəlikcə səyahət etmiş valideynlərə məsləhət görülür ki, həm özlər, həm də uşaqları iki həftə ərzində evdən çıxmasınlar. Ofislər Şirkətlərə məsləhət görülür ki, işçilərin evdən işləməsinə daha çox şərait yaratsınlar Koronavirus texnoloji baxımdan inkişaf etmiş ölkələrdəki şirkətlərin fəaliyyətinə daha çox təsir edir. San-Dieqo və San-Fransiskoda fövqəladə vəziyyət elan edilib, ofis işçilərinə ziyarətçilərlə əl verib görüşməmək məsləhət görülüb. ABŞ-ın Xəstəliklərlə bağlı profilaktika və nəzarət mərkəzi şirkətlərə tövsiyə edib ki, işçiləri, xüsusilə də qızıdırması və respirator qrip simptomu olanları evdən işləməyə təşviq etsinlər. Məlumatlandırma ABŞ-ın səhiyyə müəssisələrində çalışanlar deyirlər ki, insanlar əlləri yaxşı-yaxşı yumaq kimi sadə prosedurların vacibliyini anlamalıdırlar. Çünki bu, koronavirusla mübarizədə effektiv üsullardan biridir. Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) aşağıdakıları məsləhət görür: Xəstəxanalar Hələ ki, \"2019-NCoV\" virusunun peyvəndi yoxdur. Xəstəxanaların əsas vəzifəsi infeksiyanın ağırlaşmasına qarşı mübarizə aparmaqdır. Səhiyyə müəssisələrinə xəstələri təcrid etmək və personalın qoruyucu paltarlar geyinməsinə nəzarət etmək məsləhət görülür. ABŞ və Britaniya hökumətləri hesab edirlər ki, epidemiyanın miqyası genişlənsə, xəstəxanalarda yer problemi yarana bilər. Təcrid Britaniya hökuməti viruslu ölkələrdən gələn vətəndaşlardan özlərini təcrid etməyi xahiş edib. Epidemiyanın başladığı Uhan şəhəri (Çin) və Şimali İtaliyanın bəzi bölgələri təcrid vəziyyətində qalmaqdadır. İraq. Bəsrə şəhərində yoxlanış Hərçənd ekspertlər hesab edirlər ki, virus bütün dünyaya yayıldıqdan sonra bu cür tədbirlərin effekti omayacaq. Üstəlik, onları hər yerdə tətbiq etmək də mümkün olmayacaq. \"Çox az ölkə Çin kimi bütov bir şəhəri bloklamaq imkanına malikdir. Belə izolyasiya ailələrin bölünməsi, insanların dərmanlarla və ərzaq məhsullarıyla təminatı məsələlərində böyük problemlər yaradır. Bu həm də xəstəxanaların həkimlərə, tibb bacılarına və dərman ləvazimatlarına olan ehtiyaclarının vaxtında ödənilməsi məsələsini də çətinləşdirir\" - Cons-Hopkins Səhiyyə mərkəzinin direktoru Tom İnqlsbi öz \"Twitter\" hesabında belə yazıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-38871864", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38872648", "doc1": "মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ দেখা যায়। ফলে এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা জারি থাকবে। আপিল খারিজ করে দিয়ে আদালত হোয়াইট হাউজকে এবং বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীদের আরও বেশি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীরা বলছেন, সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুরোপুরি অসাংবিধানিক। তবে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, মি: ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার কোনও এখতিয়ার প্রদেশগুলোর নেই। আর জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্টের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনও অধিকার তাদের নেই। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের ওই নির্দেশনার পর সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন। মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, এ ধরনের আইনি রুলিংয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র খারাপ ও বিপজ্জনক মানুষে ভরে যেতে পারে। এরপরেই দেশটির বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে মিস্টার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। এর আগে মিস্টার ট্রাম্প টুইটারে জানিয়েছিলেন, তথাকথিত বিচারক আইনের প্রয়োগ স্থগিত করেছে। তিনি তখন এটাও জানিয়ে দেন যে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে। আরও পড়ুন: ট্রাম্প-মিডিয়া দ্বন্দ্ব: লাভটা কার? যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীর কানে আটকা পড়েছিল অজগর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল প্রবীণ রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রয়াত", "doc2": "Prezident Trump-ın fərmanı ABŞ-da kütləvi etiraz aksiyaları ilə nəticələnib Gecə saatlarında verilən qərara əsasən viza qadağası yalnız onunla bağlı məhkəmə prosesi bitdikdən sonra icra edilə bilər. Məhkəmə Ağ Evə və qadağaya qarşı çıxan ştatlara işlə bağlı arqumentlərini bazar ertəsinə gədər irəli sürməyə vaxt verib. Cənab Trump-ın keçən həftə imzaladığı qadağa fərmanı ABŞ aeroportlarında qalmaqal yaradıb və kütləvi etirazlara səbəb olub. Şənbə günü Washington, Miami, digər ABŞ şəhərləri və bir neçə Avropa paytaxtında etiraz aksiyaları davam edib. London, Paris, Berlin, Stokholm və Barselonada minlərlə insan etiraz aksiyalarında iştirak edib. Cənab Trump-ın tərəfdarları fərmanı ləğv edən hökmə etiraz ediblər Bəzi ABŞ şəhərlərində Trump tərəfdarları fərmanı dəstəkləyən aksiyalar keçiriblər. Cənab Trump-ın fərmanı qüvvəyə mindikdən sonra təxminən 60 min viza ləğv edilib. Lakin hakim Robart-ın qərarı fərmanın icrasını müvəqqəti olaraq dayandırıb. Hakim Washington və Minnesota ştatlarının fərmana qarşı şikayətlərinin uğurlu olacağını düşündüyünü bildirib. İki ştatın vəkilləri fərmanın konstitusiyaya zidd olduğunu iddia ediblər. Onlar həmçinin qərarın müsəlmanları hədəflədiyini iddia edərək fərmanın din azadlığı hüququnu pozduğunu deyiblər. Cənab Trump hakim Robart-ın qərarını \"cəfəng\" adlandırıb və qadağanı bərpa etməyə vəd edib. Bu qərara əsasən Sudan, Yəmən, Liviya, Somali, İraq, İran və Suriya vətəndaşları 90 gün ərzində ABŞ-a daxil ola bilməz. O, həmçinin suriyalı qaçqınların ölkədə yerləşdirilməsi üzrə proqramın qeyri-müəyyən müddətə dayandırılmasını nəzərdə tutur. Başqa ölkələrdən qaçqınların qəbulu isə 120 gün müddətinə dayandırılır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50378827", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-50395057", "doc1": "আলবেনিয়ায় মুজাহিদিন-ই-খাল্কের কিছু সদস্য এদের অনেকের অভিযোগ, মুজাহিদিন-ই-খাল্ক গোষ্ঠীর কঠোর অনুশাসন তাদের ব্যক্তিজীবনে সমস্যা তৈরি করছে। এসব অনুশাসনের মধ্যে রয়েছে সেক্স না করা, এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ। এদের মধ্যে কিছু এমইকে সদস্য আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানায় বসবাস করছেন। \"গত ৩৭ বছর ধরে আমার স্ত্রী আর ছেলের সাথে কোন কথা হয়নি। তারা ধরে নিয়েছিল আমি আর বেঁচে নেই। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, 'না, আমি বেঁচে আছি, এখন আলবেনিয়ায় থাকি … একথা শুনে তারা কেঁদেছে।\" গোলাম মির্জাইয়ের জন্য এত দীর্ঘদিন পর স্ত্রী-সন্তানের সাথে যোগাযোগ করা খুব সহজ অভিজ্ঞতা ছিল না। তার বয়স এখন ৬০। টিরানার উপকণ্ঠে এমইকে'র সামরিক ক্যাম্প থেকে দু'বছর আগে তিনি পালিয়ে যান। তিনি এখন টিরানায় কোনমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও দু:খ পান যখন অনেকেই অভিযোগ করেন যে তিনি এখন চিরশত্রু ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন। এমইকে'র ইতিহাস ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং রক্তাক্ত। এটি মূলত ইসলামপন্থী মার্কসবাদীদের একটি সংগঠন। ১৯৭৯ সালে যে ইসলামী বিপ্লব ইরানের শাহ্-কে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এমইকে সেই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এক সময় আয়াতোল্লাহ্ খোমেনির সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করলে এমইকে সদস্যরা গা ঢাকা দেন। গোলাম মির্জাই, বহু বছর যার সাথে পরিবারের যোগাযোগ নেই। প্রতিবেশী দেশ ইরাক তাদের আশ্রয় দেয়। এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় এমইকে সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে নিজের মাতৃভূমির বিরুদ্ধে লড়াই করে। গোলাম মির্জাই নিজে অবশ্য একসময় ইরানের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধের গোড়ার দিকে তিনি ইরাকী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং যুদ্ধবন্দি হিসেবে আট বছর ইরাকে আটক ছিলেন। সে সময় তার মত বন্দিদের ইরানের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছিল, এবং তিনি সেটাই করেন। মি. মির্জাইকে এখন 'সাবেক সাথী' হিসেবে বর্ণনা করা হয়। সংগঠনটি আলবেনিয়ায় সরে যাওয়ার পর এমইকে ত্যাগ করেছেন যেসব শত শত সদস্য তিনি তাদের একজন। এদের মধ্যে অনেকেই নানা পথে ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে গেছেন। কিন্তু বহু সদস্য এখনও টিরানায় বসবাস করছেন, যেখানে তারা রাষ্ট্রহীন, গৃহহীন ও কর্মহীন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একসময় এমইকে'কে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাহলে এমইকে'র লড়াকু যোদ্ধারা কিভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপের এই ছোট্ট দেশে গিয়ে হাজির হলেন? দু'হাজার তিন সালে ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন অভিযানের সময় এমইকে চরম বিপদে পড়ে যায়। তাদের রক্ষাকর্তা সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর এমইকে নানা দিক থেকে আক্রমণের মুখে পড়ে। বহু সদস্য প্রাণ হারান। তাদের এই সঙ্গিন মুহূর্তে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য আসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। মূলত আমেরিকাই আলবেনিয়ার সরকারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রায় ৩০০০ এমইকে সদস্যকে আলবেনিয়ায় নিয়ে যায়। তেহরানে আটক এমইকে সদস্য। ১৯৮২ সালের ছবি। আরও পড়তে পারেন: 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প সৌদি আরবে হামলার ঝুঁকি ইরান কেন নেবে? বিশ্ব তেল বাজারে 'ইরান হুমকি' নিয়ে সতর্ক করলেন সৌদি যুবরাজ \"আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, হামলার হাত থেকে রক্ষা করেছি। এমন একটি দেশে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ করে দিয়েছি যেখানে তারা কোন ধরনরে হেনস্থা, আক্রমণ বা দমনের শিকার হবে না\" - বলছেন আলবেনিয়ার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লুলঝিম বাসা। তারা এখন বিরোধীদলে, কিন্তু মুজাহেদিন-ই-খাল্ক সদস্যদের আলবেনিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় তারাই দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। আলবেনিয়ার রাজনীতি বিভক্ত হলেও একটা বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে। সেটা হলো এমইকে'র উপস্থিতি। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদল উভয়েই প্রকাশ্যে তাদের ইরানি অতিথিদের সমর্থন করে। আলবেনিয়ায় যাওয়ার পর এমইকে'র সদস্যদের নতুন জীবন শুরু হয়। গোলাম মির্জাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে সে দেশের শিশুদের হাতেও মোবাইল ফোন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে টিরানার উপকণ্ঠে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে এমইকে'র সদস্যদের রাখা হয়। ইরাকে তাদের জীবন যেমন কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে ছিল, টিরানাতে সেই নিয়মকানুন শিথিল হয়ে পড়ে। \"আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের পেছনে ছিল কিছু পতিত জমি। আমাদের অধিনায়করা বললেন ওখানে আমাদের প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে,\" বলছেন হাসান হেয়রানি। তিনিও এমইকে'র একজন সাবেক সদস্য। পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য মি. হেয়রানি এবং তার সহকর্মীরা টিরানার ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোর বাইরের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকতেন। \"আমরা যখন ইরাকে ছিলাম তখন বাড়িতে ফোন করতে চাইলে বলা হতো আমরা দুর্বল,\" তিনি বলছেন, \"কিন্তু টিরানায় আসার পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতাম।\" ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মুজাহিদিন-ই-খাল্কের নারী সদস্যরা (১৯৮৪) দু'হাজার সতের সালের শেষ নাগাদ, এমইকে তার সদর দপ্তর পরিবর্তন করে। টিরানা থেকে ৩০ কি.মি. দূরে একটি পাহাড়ের ঢালে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। বিশাল লোহার গেটের ভেতরে রয়েছে মার্বেলের খিলান - যার ওপর বসে আছে সোনালি এক সিংহের মূর্তি। বিনা আমন্ত্রণে সাংবাদিকদের ওখানে ঢোকা নিষেধ। তবে চলতি বছর জুলাই মাসে ঐ ক্যাম্পে ইরানের মুক্তির ওপর এক অনুষ্ঠানে হয় যেখানে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। বিভিন্ন দেশ থেকে রাজনীতিবিদ, গুরুত্বপূর্ণ আলবেনিয়ান এবং পাশের গ্রাম মানজে থেকে অতিথিরা ঐ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এমইকে প্রধান মারিয়াম রাজাভির সাথে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। সামরিক পোশাক পরা এমইকে'র সদস্যদের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, \"এই লোকেরা স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।\" মি. জুলিয়ানির মতো ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদরা ইরানে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চান। এমইকে'র ইশতেহারে স্বাধীন ইরানে মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাসান হেয়রানি এসব বিশ্বাস করেন না। এমইকে'র সদস্যদের ব্যক্তি জীবনের ওপর নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করে গত বছর তিনি ঐ সংগঠন ত্যাগ করেন। তার বয়স যখন ২০ বছর তখন এমইকে'র বহুত্ববাদী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি ঐ গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন। এমইকে'র একটি মিটিং-এ যোগদানের ঘটনাটি তাকে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেছিল। হাসান হেয়রানি। \"আমাদের হাতে থাকতো ছোট্ট একটি নোটবুক। সেখানে আমাদের নানা যৌন অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখতে হতো। যেমন, 'আজ সকালে আমি বেশ উত্তেজিত হয়েছিলাম।'\" আর নোটবুকের এসব লেখা এমইকে'র সদস্যদের প্রকাশ্যে মিটিঙের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবাইকে পড়ে শোনাতে হতো। এমইকে'র সদস্যদের প্রেম কিংবা বিয়ে করা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিধিনিষেধ আগে ছিল না। তখন আত্মীয়স্বজন এমইকে'র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারতো। কিন্তু ইরানের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের পর এমইকে'র নেতারা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে সদস্যদের পারিবারিক পিছুটানের জন্যই ঐ পরাজয় হয়েছে। এরপর এমইকে'র সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক হাতে বিবাহ বিচ্ছেদ শুরু হয়। শিশুদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দত্তক দেয়া হয়। অবিবাহিত এমইকে'র সদস্যরা ঐ আইন মেনে নেন। হাসান হেয়রানি, ২০০৬ সালে ইরাকে। \"যে কোন মানুষের জন্য এটা করা খুব কঠিন কাজ,\" বলছেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে বিবিসি মুজাহিদিন-ই-খাল্ক'র সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন জবাব দিতে চায় নি। এমইকে'র প্রতি সমর্থন থাকলেও আলবেনিয়াতে অনেকেই এই গোষ্ঠীকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে মনে করেন। মুজাহেদিনদের হত্যা করার চেষ্টা করেছেন, এই অভিযোগে আলবেনিয়া থেকে দু'জন ইরানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে যে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক কিংবা ফ্রান্সে ইরানের চরেরা এমইকে'র নেতাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। এমইকে'র ইরান মুক্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন রুডি জুলিয়ানি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: নেতাদের পদত্যাগ: কতটা চিন্তায় পড়েছে বিএনপি? বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় আজও সাজা হয়নি কারো রাজস্ব বোর্ড কি 'তামাক কোম্পানির পক্ষ নিচ্ছে?' কূটনীতিকরা মনে করছেন, এমইকে'র কিছু সাবেক সদস্য নিশ্চিতভাবেই ইরানের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছেন। গোলাম মির্জাই কিংবা হাসান হেয়রানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে খোদ এমইকে থেকেই। তবে দু'জনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই দু'জনেই এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন। হাসান হেয়রানি টিরানাতে একটি ক্যাফে চালু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোলাম মির্জাইয়ের পরিস্থিতি বেশ সঙ্গিন। হাতে টাকাপয়সাও নেই। তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। যুদ্ধের সময় আহত হয়েছিলেন। এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন। পরিবারের সাথে তার দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না। ৩৫ বছর পর তিনি প্রথমবারের মতো পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। \"বহুদিন ধরে আমার স্ত্রী আর সন্তানের কথা ভেবেছি। এক সময় মনে হতো যুদ্ধের সময় এরা হয়তো সবাই মারা গেছে,\" বলছেন তিনি, \"আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমার স্ত্রীর আর সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চাই।\" গোলাম মির্জাই সাহায্য চেয়ে টিরানার ইরানি দূতাবাসের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। এখনও বাড়ি ফেরার স্বপ্ন বুকে আঁকড়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু নাগরিকত্ব হারিয়ে, পাসপোর্ট হারিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া মি. মির্জাইয়ের সামনে এখন আর কোন পথ খোলা নেই। আলবেনিয়ার টিরানায় এমইকে'র নারী সৈন্য।", "doc2": "Ancaq onun yüzlərlə üzvü təşkilatın sıralarını tərk edib. Bəziləri qrupun nikahsızlıq əhdinə sərt riayət və ailə ilə təmaslara nəzarətdən şikayət ediblər. İndi qrupun onlarla üzvü Albaniyanın paytaxtı Tiranadadır, onlar İrana qayıda bilmir və normal həyat yaşamaq imkanından məhrumdur. \"Həyat yoldaşım və oğlumla 37 ildən çox danışmadım - onlar öldüyümü düşünürdülər. Ancaq mən dedim ki, \"Xeyr, sağam, Albaniyada yaşayıram... Onları ağlamaq tutdu\". Uzun illərdən sonra ailəsinə ilk telefon zəngi Qulam Mirzəyi üçün də çətin olub. O, 60 yaşındadır və iki il əvvəl XM qrupuna məxsus, Tirana ətrafındakı hərbi tipli düşərgədən qaçmağa müvəffəq olub. İndi o, təəssüf hissi keçirərək şəhərdə dolaşır və keçmiş mücahid yoldaşları tərəfindən qatı düşmən - İran İslam Respublikası hökumətinin xeyrinə casusluq etməkdə ittiham olunur. XM qrupu təlatümlü və qanlı bir tarixə sahibdir. İslamçı-marksist radikal olan təşkilatın üzvləri 1979-cu ildə Şahı hakimiyyətdən devirən İran inqilabını dəstəklədilər. Lakin qələbə çalan Ayətullah Xomeyni ilə münasibətlər qısa müddətdə pozuldu. Hökumət sərt təqiblərə başlayanda, mücahidlərin qaçıb canlarını qurtarmaqdan başqa çarəsi qalmadı. 1982-ci ildə Tehranda mühasirəyə alınan XM üzvləri Qonşu İraq sığınacaq təklif etdi və İran-İraq müharibəsi zamanı (1980-1988) XM qrupu, özünün səhradakı istehkamından Səddam Hüseyn tərəfində İrana qarşı vuruşdu. Qulam Mirzəyi, müharibənin əvvəlində Səddam Hüseyn qüvvələri tərəfindən ələ keçirilərkən İran ordusunda xidmət edirdi. O, səkkiz il ərzində İraqda hərbi əsirlikdə qaldı. Lakin bir müddət sonra Mirzəyi kimi başqa iranlı məhbusları birləşməyə çağırdılar. Və belə də oldu. Mirzəyi Albaniyaya köçdükdən bəri təşkilatın sıralarını tərk etmiş yüzlərlə sabiq XM üzvlərindən biridir. Ailədən alınan kömək sayəsində onlardan bəziləri insan qaçaqmalçılarına pul ödəyərək Avropanın başqa yerlərinə üz tutub. Ola bilsin ki, qrupun iki üzvü İrana qayıdıb. Ancaq onlarla adam Tiranada qalır. Onların nə vətəndaşlığı, nə də işləmək hüququ var. Həmçinin oxuyun Bəs görəsən, döyüşlərdən keçərək bərkiyən, ABŞ və Avropada terrorçu tanınmış XM qrupunun üzvləri Avropanın bu guşəsinə necə yol tapıblar? 2003-cü ildə müttəfiq qüvvələrin İraqa müdaxiləsi XM üçün təhlükə yaratmış oldu. Təşkilatın müdafiəçisi Səddam Hüseyn qəflətən yoxa çıxdı və mücahidlərə dəfələrlə hücum edildi - yüzlərlə adam həlak oldu və yaralandı. Daha da ağır humanitar fəlakətdən ehtiyatlanan amerikalılar 2013-cü ildə Albaniya hökumətinə müraciət edərək, onu, 3000-ə yaxın XM üzvünü qəbul etməyə sövq etdi. İran-İraq müharibəsi zamanı təlim keçən XM qrupunun qadın döyüşçüləri (1984-cü il) \"Biz onlara həmlə və təqiblərdən azad, təcavüz, basqın və zorakılıq olmayan bir ölkədə normal həyat yaşamaq imkanını təklif etdik\", - keçmiş hökumət üzvü, hazırda müxalifətdə Demokratik Partiyanın lideri Lulzim Başa bildirir. Albaniyada siyasət kəskin şəkildə qütbləşib - hər şey mübahisə olunur. Lakin qeyri-adi bir haldır ki, XM qrupunun mövcudluğu həmin mübahisədən kənarda qalır. Həm iqtidar, həm də müxalifət partiyaları iranlı qonaqları dəstəkləyir. XM üçün Albaniya tamamilə yeni bir mühit idi. Hətta uşaqların da mobil telefonlara sahib olması Qulam Mirzəyini heyrətə gətirmişdi. Mücahidlərin bir hissəsinin paytaxt kənarındakı çoxmərtəbəli binalarda mənzilləşdirilməsinə görə, əvvəlki ilə müqayisədə təşkilatın öz üzvlərinə nəzarəti zəifləyirdi. İraqda onların həyatı tam nəzarət altında idi. Amma indi, müvəqqəti olaraq, müəyyən dərəcədə azadlıqdan yararlanmaq mümkün idi. \"Mənzillərin arxasında biyaban bir yer vardı, komandirlər orada gündəlik məşq etməyimizi istəmişdi\", - təşkilatı \"tərk edən\" daha bir üzv - Həsən Heyrani xatırlayır. Heyrani və onun həmkarları nəzərə çarpmamaq üçün ağac və kolluqların arxasından keçərək yaxınlıqdakı internet kafeyə girib ailələri ilə gizlicə əlaqə qururdular. \"İraqda olduğumuz zaman evə telefon etmək istəsən, XM səni zəif adlandırırdı - ailələrimizlə əlaqə yox idi\", - Həsən Heyrani deyir. \"Ancaq Tiranaya gələndə şəxsi istifadə üçün interneti aşkar etdik\". Həsən Heyrani 2017-ci ilin sonuna doğru XM yeni qərargaha köçdü. Düşərgə, paytaxtdan təxminən 30 km aralıda yerləşən kənd ərazisinin təpələrində qurulmuşdu. Möhtəşəm dəmir qapılar arxasında üzəri qızıl şirlərlə bəzədilmiş heyranedici mərmər tağ yerləşir. Yanı ağaclı bulvar İran hökumətinə qarşı mübarizədə həyatlarını itirən minlərlə insanın xatirəsinə ucaldılmış abidəyə aparır. Dəvətsiz gələn jurnalistlər burada xoş qarşılanmır. Lakin bu ilin iyul ayında XM qrupunun düşərgəsində keçirilən Azad İran tədbirində minlərlə insan iştirak etdi. Onların arasında müxtəlif ölkələrdən olan siyasətçi, nüfuzlu albanlar və yaxınlıqdakı Manze kəndinin sakinləri də var idi. Minlərlə adi qrup üzvü ilə yanaşı tədbirə XM təşkilatının lideri Məryəm Rəcəvi də qatıldı. Rudy Giuliani: \"Və əgər bunun bir kult olduğunu düşünürsənsə, demək ki, səhvə yol verirsən\" ABŞ prezidenti Donald Trump-ın şəxsi vəkili Rudy Giuliani izdiham qarşısında çıxış etdi. \"Onlar azadlığa sadiq olan insanlardır, - eyni tərzli geyimdə olan və cinsinə görə ayrı oturan XM üzvlərindən ibarət auditoriyaya müraciət edən Rudy Giuliani dedi. - \"Və əgər bunun bir kult olduğunu düşünürsənsə, demək ki, səhvə yol verirsən\". Giuliani kimi qüdrətli siyasətçilər XM qrupunun İranda rejim dəyişməsi hədəfini dəstəkləyir. Hərəkatın manifestində insan hüquqları, gender bərabərliyi və İran üçün iştirakçı demokratiya öhdəliyi var. Amma Həsən Heyrani bunlara artıq inanmır. O, rəhbərlik tərəfindən şəxsi həyata göstərilən təzyiq kimi qəbul etdiyi sərt nəzarətə qarşı çıxaraq XM sıralarını tərk edib. Heyrani, təşkilata 20 yaşlarında ikən üzv olub. Onu cəlb edən, qrupun siyasi plüralizmə bağlılığı idi. \"Çox cəlbedici idi. Ancaq demokratiyaya inanırsınızsa, üzvlərinizin ruhu üzərinə basqı edə bilməzsiniz\", - o, deyir. Heyraninin XM qrupunun icbari iclasında iştirakı mühüm məqama çevrildi. Həsən Heyrani İraqda, 2006-cı il \"Bizim kiçik bloknotumuz vardı və hər hansı cinsi məqamlarımız olanda onları yazmalıydıq. Məsələn, \"Bu gün səhər məndə ereksiya var idi.'\" Romantik münasibətlər və nikaha XM tərəfindən qadağa qoyulub. Həmişə belə olmayıb - valideynlər öz övladları ilə birlikdə mücahidlərə qoşulardular. Ancaq iranlılar tərəfindən həyata keçirilən qanlı hücumdan sonra rəhbərlik iddia etdi ki, məğlubiyyətə səbəb diqqətin şəxsi münasibətlərə görə yayınması olub. Bunun ardınca kütləvi boşanmalar başladı. Uşaqları uzaqlaşdırdılar. Bir çox hallarda onları Avropadakı uşaq evlərinə göndərirdilər. Üzvlər bu şəkildə, tək başına qalacağına söz verdilər. Bloknotda, həmçinin hər hansı şəxsi xəyallar da qeyd olunmalı idi, Heyrani deyir. Məsələn: \"Televiziyada bir körpəni görəndə övlad və ya ailə sahibi olmaq hissini yaşadım.\" Mücahidlər gündəlik yığıncaqda komandirləri və yoldaşlarının qarşısında dəftərdəki yazıları oxumalı idilər. \"Bu, insan üçün çox çətindir\", - Heyrani deyir. İndi o, Manzedəki XM düşərgəsini, Georg Orwell-in SSRİ-dəki Stalinist dövrünü tənqid edən \"Heyvanıstan\" əsərinə bənzədir. \"Bu, kultdur\" deyir. Tiranadakı diplomatik mənbə XM qrupunu \"kult yox, kultvari - unikal mədəniyyət qrupu\" kimi təsvir edib. Təşkilatın müsahibədən imtinasına görə, BBC bunların heç birini XM-dən soruşa bilməyib. Lakin onilliklər boyunca qapalı, kommunist rejiminə, təqiblərə tab gətirən Albaniyada XM rəhbərliyinin mövqeyinə müəyyən rəğbət var - ən azı şəxsi münasibətlərin qadağasına dair. \"Fövqəladə vəziyyətlərdə fövqəladə seçim edirsən\", - yazıçı, qadın fəalı və hakim Sosialist Partiyasının keçmiş deputatı Diana Culi deyir. \"Ölkələrini totalitar rejimdən qurtarmaq üçün bütün həyatlarını mübarizəyə həsr etdilər. Bəzən bir güclü inamı qəbul etməkdə çətinlik çəkirik. Bu şəxsi fədakarlıqdır və belə düşüncə tərzini başa düşürəm.\" Albaniyadakı XM qərargahı qarşısında qadın mühafizəçilər Bununla belə, bəzi albanlar XM-in mövcudluğunun milli təhlükəsizliyə təhdid olmasından narahatdırlar. İki İran diplomatı mücahidlərə qarşı zorakılıq planları ilə bağlı iddialardan sonra ölkədən xaric olunub. Avropa İttifaqı isə Tehranı, Hollandiya, Danimarka və Fransa ərazisində XM üzvləri də daxil, rejim əleyhdarlarına qarşı sui-qəsd planları arxasında olmaqda ittiham edib. İranın Tiranadakı səfirliyi BBC-nin müsahibə təklifini rədd edib. Sosialist Partiyasının üst təbəqəsində olan mənbələrdən biri narahatdır ki, ölkənin xüsusi xidmətləri hərbi təlim keçmiş 2500-dən çox XM üzvünü monitorinq etmək imkanında deyil. \"Onları beyni olan heç kim qəbul etməzdi\", - o, deyir. Bir diplomat deyir ki, təşkilatı \"tərk edənlər\" arasında güman ki, İran üçün işləyənlər var. Qulam Mirzəyi və Həsən Heyrani Tehranın agentləri olmaqda ittiham olunublar. Onlar bu ittihamları rədd edirlər. İndi hər iki şəxs fikirlərini gələcəyə yönəldir. Qulam Mirzəyi Tiranada Heyrani İrandakı ailəsinin köməyi ilə qəhvə mağazası açıb və albaniyalı xanımla görüşür. 40 yaşı olan Heyrani yoldaşlarının əksəriyyətindən gəncdir və nikbin əhval-ruhiyyədədir. Qulam Mirzəyinin vəziyyəti daha çətindir. Onun səhhəti yaxşı deyil - İraqdakı XM düşərgəsinin bombardmana tutulmasından sonra o, çəliklə gəzir və pulsuzluqdan əziyyət çəkir. O, yol verdiyi səhvlərə və ailəsi ilə ilk dəfə əlaqə qurarkən üzə çıxan bir məqama görə özünə yer tapa bilmir. 1980-ci ildə Mirzəyi İraqla müharibəyə getdikdə onun bir aylıq oğlu var idi. İran-İraq müharibəsi başa çatdıqdan sonra onun həyat yoldaşı və qohumları Mirzəyini axtarmaq üçün İraqdakı XM düşərgəsinə baş çəkdilər. Lakin XM onları yola saldı və gəlişləri barədə heç nə demədi. Beləliklə, 60 yaşlı ixtiyar 37 illik fasilədən sonra evə zəng vuranadək həsrəti çəkilən ata və ər olduğu barədə xəbərsiz qalıb. \"Ailəmin İraqa gəlib məni axtardığını söyləmədilər. Həyat yoldaşım və oğlum haqqında heç nə söyləmədilər\", - Mirzəyi deyir. \"Bütün bu illər ərzində həyat yoldaşım və oğlum haqqında düşündüm. Bəlkə də onlar müharibədə həlak oldu ... Mən sadəcə olaraq bilmirdim\". Həmçinin oxuyun: Seks olmadan yaşamaq olarmı? Şəxsi təcrübələr"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41498953", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41751350", "doc1": "নিউ ইয়র্কের জাভিটন সেন্টারের গ্লাস সিলিং। মিসেস ক্লিটনের জন্য এক পরাজয়ের রাত। সমান যোগ্যতা থাকার পরও বিশেষভাবে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোন মানুষের উন্নতির পথে তৈরি করা যে অদৃশ্য বাধা তাকেই ইংরেজিতে বলা হয় 'গ্লাস সিলিং'। ক্ষমতা এবং লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই শব্দটি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার রাতে মিসেস ক্লিনটন ছিলেন নিউ ইয়র্কের জাভিটস সেন্টারে। সেটাও কিন্তু কাকতালীয় ছিল না। কারণ, নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় কাঁচের ছাদ বা গ্লাস সিলিং রয়েছে এই ভবনে। মিসেস ক্লিনটন ভোটে হেরে গেলেও বিশ্বব্যাপী সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা গত এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ক্ষমতাসীন ১৫ জন নারী নেতার মধ্যে আটজনই তাদের দেশের প্রথম নারী নেতা। কিন্তু এর পরও জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১০%-এরও কম দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন নারীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, নারী নেতৃত্ব মহিলাদের অনু কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেখানে নারী নেতৃত্ব রয়েছে সেখানে নারীদের অবস্থার কি উন্নতি হয়েছে? ভারতের স্থানীয় রাজনীতিতে যে কোটা ব্যবস্থা রয়েছে তার থেকে এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারতে ২০১২ সালের হাজার হাজার তরুণ এবং তাদের বাবা-মায়ের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গিয়েছে, গ্রামের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে নারী নেতৃত্বের একটা সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। জরিপে যখন দম্পতিকে জিজ্ঞেস করা হয়, শিক্ষা এবং চাকরির বিবেচনায় তারা প্রথম সন্তান হিসেবে কাকে বেছে নেবেন? বেশিরভাগ উত্তরদাতা বলেছিলেন তারা ছেলে সন্তান কামনা করেন। কিন্তু যেসব গ্রামে অন্তত দুটি নির্বাচনে নারী নেতৃত্ব ছিল সেখানে ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুর মধ্যে এই বিভেদ ২৫% কমে গিয়েছে বলে ঐ জরিপে উঠে আসে। সুইটজারল্যান্ডে ২০১২ সালে আরেকটি গবেষণা চালানো হয়। এতে জানা যায়, উপযুক্ত নারী আদর্শ থাকলে তা অন্য নারীদেরও প্রেরণা যোগায়। হিলারি ক্লিনটন এবং আঙ্গেলা মার্কেল (ডানে)। এরা দুজনেই বহু নারীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই গবেষণায় একদল ছাত্র- ছাত্রীকে চারটি দলে ভাগ করে একটি ঘরে ঢোকানো হয়। একটি ঘরে ছিল জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের ছবি। আরেকটি ঘরে ছিল তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ছবি। অন্য একটি ঘরে ছিল বিল ক্লিনটনের ছবি। শেষ ঘরে কোন ছবি ছিল না। এই গবেষণায় দেখা যায়, সফল নারী নেতৃত্বের ছবি ছাত্রীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। পুরুষ নেতার ছবি দেখে ছাত্রীরা খুব একটা অনুপ্রাণিত বোধ করেননি। গবেষণার ফলাফলে মন্তব্য করা হয়: \"রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব শুধু সমতার আকাঙ্ক্ষাই বাড়ায় না, নারী নেতৃত্বের কারণে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আরও বাড়ে।\" নারীদের আরো বেশি হারে রাজনীতিতে আসার সঙ্গে সার্বিকভাবে নারী-পুরুষের সমতার একটা যোগাযোগ রয়েছে বলেও বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম লিঙ্গ বৈষম্যের ওপর যে রিপোর্ট তৈরি করে তার ভিত্তি হচ্ছে চারটি: স্বাস্থ্য ও অকাল মৃত্যু রোধের হার, শিক্ষায় সাফল্য, অর্থনীতিতে যোগদান এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে লিঙ্গ বৈষম্য সবচেয়ে কম ছিল যেসব দেশে - আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং নরওয়ে - সেখানে ক্ষমতায় ছিল নারী নেতৃত্ব। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব দেশে নারীরা রাজনীতিতে জড়িত বেশি সেসব দেশের নারীদের সার্বিক উন্নতিও বেশি হয়। নারী নেতৃত্বের সাথে দেশের নারীদের জীবনমানের সার্বিক উন্নতির সরাসরি যোগাযোগ প্রমাণ করা বেশ কঠিন কাজ। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো, গত কয়েক দশকে প্রায় সব দেশেই জীবন-মানের কিছু উন্নতি ঘটেছে, তা সে দেশের ক্ষমতায় নারী নেতৃত্ব থাকুক বা নাই থাকুক। দ্বিতীয় কারণটি হলো, অনেক দেশেই নারী নেতৃত্ব ক্ষমতায় রয়েছে অল্পদিন হলো। ফলে তাদের কারণেই বাকি নারীদের উন্নতি হয়েছে তা প্রমাণ করাও মুশকিল। তবে প্রমাণ দিয়ে যে কথাটি বলা যায় তা হলো, যেখানে নারীরা ঐ গ্লাস সিলিং ভাঙতে পেরেছেন, সেখানে অন্য নারীও অনুপ্রাণিত হয়েছেন বেশি। আর সে সব দেশে নারীদের জীবনের মানও বদলেছে গেছে বেশি।", "doc2": "2016-cı ildə Hillary Clinton demokratların prezidentliyə namizədi olub. Bu sözləri Hillary Clinton, 2016-cı ilin iyulunda Demokratlar partiyasının prezidentliyə namizədi seçilərkən demişdi. Şüşəni sındıra bilməsə də, Hillary Clintonun bu çıxışı etmək üçün məkan seçimi heç də təsadüfi deyildi. Javits Mərkəzi, New York şəhərində ən böyük şüşə tavana malik bina kimi tanınır. Əgər o, ABŞ-ın ilk qadın prezidenti kimi seçilsəydi, hər şey üst-üstə düşəcəkdi. Lakin xanım Clintonun məğlubiyyəti cərəyanın bir hissəsi idi. Ötən on illik ərzində rəhbər vəzifələr tutan qadınların sayı ikiqat artıb. Pew Araşdırma Mərkəzinin məlumatlarına əsasən, rəhbər kimi tanınan 15 qadından səkkizi ölkəsinin lideridir. Amma bu, 193 BMT üzvü ölkələrdə qadınların hakimiyyətdə cəmi 10% göstərici ilə təmsil olunması deməkdir. Bu liderlər heç şübhəsiz ki, sədləri aşırlar. Bəs ölkəsindəki qadınları da arxalarınca apara bilirlərmi? Hindistanın yerli hökumətindən gələn siyasi kvota sualımıza cavab ola bilər. 1993-cü ildən bəri təsadüfi seçilən üç Hindistan kəndindən birində baş müşavir kimi qadın təyin olunur. Sosial eksperiment Beləliklə təbii sosial eksperiment aparılmış olur. 2012-ci ildə minlərlə hindistanlı gənc və onların valideynlərinin iştirakı ilə aparılan araşdırmada müəyyənləşib ki, qadın liderlər kənddəki gənc qızlara birbaşa təsir göstərir. Valideynlərdən uşaqlarının təhsili, iş imkanları və gələcəyi haqqında soruşulanda, onlar daha çox oğul övlad haqqında fikir yürüdüblər. Amma, iki seçki müddətinə qadın lideri olan kəndlərdə heç vaxt qadın rəhbəri olmayan kəndlərə nisbətən, valideynlərin oğul ilə qızın gələcəyinə inamı arasındakı boşluq 25% daha aşağı olub. Gənclərin özü üçün isə bu boşluq 35%-ə düşüb. Oğlanlara qarşı tələb liderin qadın olub-olmamasından asılı olmayaraq, eyni dərəcədə qalmışdı. Demək ki, boşluğun kiçilməsinə səbəb, qızlarda yaranan meyl olub. Müəlliflər qeydə alıblar ki, qadın liderlərin qadınlar və qızların vəziyyətini dəyişmək üçün məhdud imkanları olub. Bununla belə, onların varlığı ən azından pozitiv model kimi gənc qızların təhsili və arzuları üçün kifayət edib. Rol modelləri 2012-ci ildə isveçrəli tədqiqatçıların apardığı bir tədqiqat göstərib ki, rol modelləri qadınların liderlik vəziyyətində davranışına uzaqdan belə olsa, təsir göstərir. Müəlliflər kişi və qadın tələbələri virtual reallıq mühitində çıxış etməyə dəvət ediblər. Qadınlar il ərzində kişilərdən təxminən 39 gün daha çox işləyirlər, Dünya İqtisadiyyat Forumunun (WEF) hesabatında deyilir. Onlar dörd qrupa ayrılıblar. Bir qrupa divarda alman kansleri Angerla Merkel, o biri qrupa ABŞ-ın keçmiş dövlət katibi Hillaty Clinton, digər qrupa Bill Clintonun şəkili göstərilib. Nəzarət qrupuna isə heç bir şəkil göstərilməyib. Qadınların qadın siyasətçi qarşısındakı çıxışı, kişi siyasətçi qarşısında və ya heç bir siyasətçi olmadan etdikləri çıxışdan daha uzun olub. Və çıxış nə qədər uzun olurdusa, iştirakçı qadınlar bir o qədər yaxşı danışırdılar. \"Qadın siyasətçilərin sayının atmasında məqsəd təkcə bərabərlik deyil,\" tədqiqatın müəllifləri deyir. Qadınların siyasi rolları həm də gündəlik həyatda bərabərliyin aşılanmasına səbəb olur. Siyasi mühit və inkişaf Dünya İqtisadi Forumu (DİF), Qlobal Gender Boşluğu Hesabatını dörd əsas faktor əsasında müəyyənləşdirir - sağlamlıq və yaşayış, təhsil nailiyyətləri, iqtisadiyyatda iştirak və siyasi iştirak. 2016-cı ildə ümumi boşluğu daha az olan ölkələrdə - İslandiya, Finlandiya və Norveç - siyasətçilərinin qadınlardan ibarət olması normal hal hesab olunub. Azərbaycanda qadınların haqları təmin olunurmu? – Bakı sakinləri danışır Müəyyənləşib ki, siyasi baxımdan yaxşı təmsil olunan ölkələrdə qadınlar daha yaxşı inkişaf edirlər. Qadın liderlərin həmcinslərinin həyat keyfiyyətinə təsiri arasındakı konkret əlaqə olub-olmadığını demək çətindir. Buna səbəb isə ötən əsr ərzində bərabərliyin dünya üzrə bütün ölkələrdə inkişafıdır. Həmçinin bir çox qadınlar ya son illərdə seçiliblər, ya da lider kimi qısa müddət fəaliyyət göstəriblər. Buna görə də onların siyasətçi kimi cəmiyyətə birbaşa təsirini ölçmək çətindir. Fəqət əlimizdə, şüşə tavanı sındıraraq həmcins vətəndaşları üçün həvəs yaradan və ölkələrində qadınların həyat keyfiyyətini yaxşılaşdırmağa qadir olan nümunələr var."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50228984", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50224654", "doc1": "ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা । ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা । ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩৮টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০জন। ১৯২৩ সালের পর এই প্রথমবার যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। দেশটিতে ২০১৭ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বিলটি এখনো লর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার বাকি রয়েছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই এটি আইনে পরিণত হতে পারে। আর তা হলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বাকি থাকবে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশের জনগণের ব্রেক্সিট এবং দেশের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। মি. জনসন আশা করছেন যে, বেক্সিট চুক্তি এবং বর্তমান পার্লামেন্টে অচলাবস্থা নিরসনে তাকে নতুন করে ম্যান্ডেট এনে দেবে নির্বাচন, যে ব্রেক্সিটের জন্য ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত এখন সময় পেয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে যে ২১জন টোরি এমপিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেককে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তারা কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশ সংস্কার এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই নির্বাচন বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি সুযোগ। তিনি জানিয়েছেন, তার দল এখন দেশের সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর জোরালো প্রচারণা শুরু করবে, যা এই দেশ এর আগে কখনো দেখেনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান: আইসিসি হোয়াটসঅ্যাপে জুয়াড়ির সাথে কী কথা হয়েছিল সাকিবের বিয়ের পর কেমন হয় নববধূর অভিজ্ঞতা সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে", "doc2": "Britaniyada hökuməti seçmək məqsədiylə keçirilən bu seçkilərin beş ildən bir keçirilməsi nəzərdə tutulur. Ancaq bu dəfəki seçki 2015-ci ildən bəri sayca üçüncü olacaq. Seçki Britaniya parlamentinin iki palatasından biri olan İcmalar Palatasına keçiriləcək, bu Palataya 650 deputat seçilməlidir. Seçki niyə indi keçirilir? 2016-cı il referendumundan təxminən 3,5 il vaxt ötsə də Brexit hələlik baş verməyib. Siyasətçilər arasında yekdil fikir yoxdur: bəziləri Britaniyanın Aİ-ni ən qısa müddətdə tərk etməsini istəyir, bəziləri başqa bir referenduma üstünlük verir, digərləri isə Brexit-in tamamilə ləğv edilməsini istəyirlər. Baş nazir Boris Johnson-un asanlıqla yeni qanun qəbul etməsi üçün onu dəstəkləyən kifayət sayda deputat yoxdur. O, erkən seçkidən sonra parlamentdə başçılıq etdiyi Mühafizəkarlar partiyasından olan deputatların sayının artacağına və nəticədə, Brexit-lə bağlı planlarının daha asan reallaşdıra biləcəyinə ümid edir. Növbəti seçki Britaniyada 2022-ci ildə keçirilməli idi, lakin Boris Johnson bir neçə həftədir ki erkən seçki keçirmək qərarını reallaşdırmağa səylər göstərirdi. İndi erkən seçki ideyasını müxalifət partiyaları da dəstəkləyib. Səsvermə necə keçir? Britaniyada ümumi seçkilərdə 46 milyon seçici seçki dairələri üzrə öz deputatlarını seçirlər - ölkədə 650 seçki dairəsi var. Səsvermə üçün qeydiyyatdan keçmiş, yaşı 18 və yuxarı olan hər bir Britaniya vətəndaşı səsvermədə iştirak edə bilər. Statistikaya görə, yaşlı nəsil gənc nəsil ilə müqayisədə səsvermədə daha həvəsli iştirak edir, belə ki, 2017-ci ildəki seçkilərdə 20-24 yaş arasında olanların 59%-i, 60-69 yaşlarında olanların isə 77%-i faizi səs verib. Səsvermə kilsə və məktəb zalları kimi yerlərdə qurulan yerli seçki məntəqələrində keçirilir. Seçicilər seçki bülletenində seçdikləri namizədin adının qarşısındakı xananı qaralayaraq həmin bülleteni möhürlənmiş seçki qutusuna atırlar. Qaliblər necə seçilir? Hər dairədə ən çox səs toplayan namizəd İcmalar Palatasına seçilmiş sayılır. Səsvermənin qalibini tanınmaq üçün o, sadəcə, rəqib namizədlərdən daha çox səs toplamalıdır. Deputatların əksəriyyəti üzv olduqları siyasi partiyanı təmsil edir, lakin bəziləri müstəqil namizəd qismində seçkidə iştirak etmək qərarını verirlər. İcmalar Palatasında deputat mandatlarının yarısından çoxuna (326) nəzarət edən partiya bir qayda olaraq hökuməti formalaşdırır. Heç bir partiyanın parlamentdə 326 səsi olmadığı halda, partiayalardan biri parlamentdə səs çoxluğunu təmin etmək üçün digər partiya və ya partiyalarla koalisiya təşkil edə bilər. Baş nazir birbaşa xalq seçkisi yoluyla müəyyən edilmir. Adətən Baş nazir seçkini qazanmış partiyanı parlamentdə təmsil edən deputatlar tərəfindən seçilir və deputatların tövsiyələrinə əməl etməyə borclu olan Kraliça tərəfindən vəzifəyə rəsmi olaraq təyin olunur, 2017-ci ilin seçkisi necə keçdi? 1922-ci ildən bəri keçirilən hər parlament seçkisində ya Mühafizəkarlar, ya da Leyboristlər partiyası qalib gəlib. 2017-ci ilin seçkisində də bu iki partiya parlamentdə ən çox səs qazandı, lakin heç biri parlament çoxluğunu əldə etmədi. Ən çox səs toplayan partiya kimi Mühafizəkarlar Şimali İrlandiyanın Demokratik İttifaqçı Partiyası (DUP) ilə koalisiya yaratdı. 2017-ci ildən bəri həm Mühafizəkarların, həm də Leyboristlərin parlamentdə sıraları azalıb, Liberal Demokratlardan olan deputatların sayı isə artıb. Lordlar Palatası parlamentin ikinci palatasıdır. Bu Palatanın üzvləri seçilmir, onları Baş nazirin tövsiyyəsiylə Kraliça təyin edir. Parlamentə kim seçilə bilər? Səsvermə günü yaşı 18-dən yuxarı olan, Britaniyada yaşayan Britaniya vətəndaşlarının əksəriyyəti parlamentə namizəd ola bilərlər. Onlar seçkidə namizəd qismində iştirak etmək £500 məbləğində ödəniş etməlidirlər, seçkilərdə 5%-dən az səs toplayan namizədə həmin ödəniş geri qaytarılmır. Namizədlər müəyyən şərtlərə cavab verməlidirlər - məhbuslar, məmurlar, hakimlər və polis və silahlı qüvvələrin qulluqçuları namizəd ola bilməzlər. Nəticə nə vaxt açıqlanır? Seçki günü səsvermə yerli vaxtla saat 07:00-dan 22:00-dək davam edir, nəticələr gecədən başlayaraq və ertəsi günədək elan olunur. Ümumi nəticə məlum olduqdan sonra qələbə çalmış partiyanın lideri Buckingham Sarayına baş çəkib kraliçadan yeni hökuməti formalaşdırmaq üçün icazə istəyir. Kraliçanın icazəsini aldıqdan sonra onlar Baş nazirin iqamətgahı olan 10 Downing Street ünvanına gəlir və Baş nazirin iqamətgahı qarşısında partiyanın yaxın illərə planları barədə açıqlama verir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40651991", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40652441", "doc1": "ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বৈঠকের বিষয়টি আগে প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এ মাসের শুরুতে জার্মানিতে জি২০ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবার কয়েক ঘণ্টা পর, তারা দ্বিতীয় দফায় আরেকটি বৈঠক করেন, যা এ পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল। একজন রুশ দোভাষীর উপস্থিতিতে মি. ট্রাম্প প্রায় এক ঘণ্টা মি. পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেন। তবে কি নিয়ে আলাপ করেছিলেন দুই নেতা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউজ। আরো পড়ুন: সীতাকুন্ডের 'অজ্ঞাত' রোগটি আসলে হাম বসিরহাটে দাঙ্গার পেছনে জামায়াত, বললেন মমতা এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টও একই রকম খবর জানিয়েছে। পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি২০ সম্মেলনে ডিনারের মাঝপথে নিজের আসন ছেড়ে উঠে মি. ট্রাম্প মি. পুতিনের পাশের একটি খালি চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে সময় একাই ছিলেন। তবে, মি. পুতিনের সঙ্গে ছিল তার দোভাষী। এমন সময় এ খবর প্রকাশিত হল যখন ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা ছিল কি না, তা নিয়ে ওয়াশিংটনে তদন্ত চলছে। সে তদন্তে সর্বশেষ মি. ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড জন ট্রাম্প জুনিয়র এবং তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাবেক ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্টের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন সিনেট কমিটির তদন্তকারীরা।", "doc2": "Rəsmi danışıqlardan sonra baş tutmuş görüş barədə əvvəldən heç bir məlumat verilməyib, Ağ Ev də onun detallarını açıqlamayıb. Prezident Trump \"gizli nahar\" barədə iddiaları \"saxta xəbər\" adlandırıb. İki liderin qarşılıqlı münasibətləri Rusiya ilə Trump kampaniyasının sövdələşməsi ittihamları fonunda intensiv nəzarət altındadır. ABŞ kəşfiyyatı hesab edir ki, Rusiya ötən il prezident seçkilərində cənab Trumpa kömək edib. Rusiya bu iddiaların bəzilərini təkzib edib. Cənab Trump isə hər hansı sövdələşməni rədd edib. Media yazır ki, ikinci görüşdə cənab Trump tək olub və görüşdə cənab Putin və onun tərcüməçisi iştiak edib. Görüş bir saat davam edib. Şam yeməyi zamanı cənab Trump-ın həyat yoldaşı Melania cənab Putin-in yanında əyləşib. Müzakirə mövzusu barədə Ağ Ev rəsmilərindəki məlumat yalnız cənab Trumpın dediklərinə əsaslanır, çünki prezident köməkçiləri də görüşdə olmayıb. Ağ Ev bu məlumatı mediada çıxan yazılardan sonra təsdiqləyib, lakin adı çəkilməyən rəsmi görüşü \"ikinci görüş\" kimi deyil, \"qısa söhbət\" kimi səciyyələndirib. Rəsmi onu da deyib ki, ABŞ-lı tərcüməçi rusca bilmədiyindən rus tərcüməçinin yardımından istifadə olunub. Cənab Trump isə Twitter-də bildirib: \"Putinlə gizli nahar barədə xəbərlər saxta \"xəstədir\". Bütün G20 liderləri və xanımları Almaniya Kansleri tərəfindən dəvət olunub. Mətbuat bilirdi\" Danışıqlar barədə ilk məlumat ABŞ-da mənzillənən Eurasia Groupun prezidenti İan Bremmerin müştəriləri üçün hazırladığı bülletendə açıqlanıb. Onun sözlərinə görə, prezidentlər həm \"təkbətək və qızğın\" söhbət edib və ABŞ-lı tərcüməçinin olmaması şam yeməyində hamını təəccübləndirib. Ağ Ev rəsmisi əlavə edib ki, hökumətin \"ikinci görüşü gizlətmək\" cəhdi barədə \"iftiralar yalan, qərəzli və absurddur\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46672050", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46673370", "doc1": "কোরানের একটি আয়াত যাতে যীশুর উল্লেখ আছে জবাবে আমি বলি যে তুরস্ক একটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ - কাজেই ২৫শে ডিসেম্বর বছরের আর দশটা দিনের মতোই। সে কি? তার মানে কি সেখানে বড়দিন হয় না? মনে রাখবেন, শুধু তুরস্ক নয় বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বড়দিন পালন করে না। এটা যতই শুনতে অবাক লাগুক, পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকেরই ধারণা যে সারা পৃথিবীতেই বড়দিনের ছুটি পালিত হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো বড়দিন হচ্ছে যীশুর জন্মদিন - যিনি খ্রিস্টানদের নবী। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: শিশুদের জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা কী? বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বেচবে নেপাল, ভারত দেবে গ্রিড সাংবাদিকদের চোখে মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা খ্রিস্টমাসের আলোকসজ্জা ইহুদি, হিন্দু বা মুসলিমদের জন্য এটা কোন ছুটির দিন নয়। অন্যভাবে বলতে গেলে যেমন মুসলিম বিশ্বে পরিবারের সদস্যরা একসাথে হন ঈদের দিন, বড়দিনে নয়। এই পার্থক্যটুকু উপলব্ধি করা জরুরি, তবে আমাদের মধ্যে যে মিলও আছে তা-ও জানা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিমদের কাছে যীশু হচ্ছেন ঈসা নবী যা জেনে পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিস্টানরা অবাক হতে পারেন তা হলো - ইসলাম যীশুর জন্মদিন পালন না করলেও - তাকে সম্মান করেন। মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে খ্রিস্টানদের যীশুকে গভীরভাবে সম্মান করেন। নবী মোহাম্মদের আগে অবতীর্ণদের মধ্যে যীশুকে সবচেয়ে সম্মানিতদের অন্যতম বলে স্থান দিয়েছে কোরান। সত্যি কথা হলো, কোরানে অসংখ্যবার উল্লিখিত হয়েছে যীশুর (যাকে আরবিতে বলা হয় ঈসা) নাম, নবী মোহাম্মদের নামের চেয়েও বেশিবার। কোরানের বর্ণনা অবলম্বনে একজন মুসলিম শিল্পীর আঁকা কুমারী মেরির ছবি ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন কুমারী মেরি । আরবিতে তার নাম মরিয়ম। মেরি বা মরিয়মের নামে কোরানের একটি পূর্ণাঙ্গ সুরার নামকরণ হয়েছে - যাতে কুমারীর গর্ভ থেকে যীশুর জন্মের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। তবে ইসলামের এই কাহিনিতে কোনো জোসেফের উল্লেখ নেই, নেই কোন যীশুর জন্মের বার্তাবাহী জ্ঞানী ব্যক্তি বা পশুর আস্তাবলের কথাও। এখানে আছে, মেরি একাই যীশুর জন্ম দিয়েছিলেন মরুভূমিতে, একটি মরা খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে। সেখানে তার খাবার জন্য গাছ থেকে পাকা খেজুর পড়ে, এবং তার পায়ের কাছে পানির ধারার সৃষ্টি হয়। মেরি এবং তার কুমারী অবস্থায় যীশুর জন্মের গল্প শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মনে দাগ কেটেছে। একজন অবিবাহিত নারী সন্তান জন্ম দেবার ফলে তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু যীশু - নবজাত শিশু অবস্থা থেকেই ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ হিসেবে কথা বলতে শুরু করেন। এই যাদুকরী ঘটনার পর তার মায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা থেমে যায়। এটি হচ্ছে সংস্কারের ওপর বিজয়ের এক গল্প। আত্মার নবী মুসলিমরা যখন যীশুর নাম নেন, তখন তাদের 'তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক' বলতে হয়। তা ছাড়া মুসলিম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী শেষ বিচারের দিনের আগে - ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য - কে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন? ঠিকই ধরেছেন, যীশু। মুসলিম সাহিত্যে তাকে যেভাবে মহিমান্বিত করা হয়েছে তা শুধু কোরানেই সীমিত নয়। সুফী দার্শনিক আল-গাজ্জালি যীশুকে বর্ণনা করেছেন 'আত্মার নবী' বলে। ইবনে আরাবি তার সম্পর্কে লিখেছেন 'সন্তদের নিশানা' হিসেবে। মুসলিম বিশ্ব জুড়েই ঈসা এবং মরিয়মের নামে শিশুদের নাম রাখা হয়। খ্রিস্টান পরিবারে কি মোহাম্মদের নামে শিশুর নাম রাখার কথা কেউ কল্পনা করতে পারেন? ইসলাম ধর্মের সাথে যীশু পরিচয়ের ঐতিহাসিক কারণ আছে। ধর্ম হিসেবে ইসলামের জন্ম হয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে। ততদিনে মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্ম ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ইতালির স্যান পেত্রোনিও ব্যাসিলিকায় আক্রমণের চেষ্টার সন্দেহে পাঁচ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাইবেলে নবী মোহাম্মদের কোন উল্লেখ নেই। কিন্তু ইসলাম যদিও যীশুকে সম্মান করে, তবু এটা বলা খুব একটা ভুল হবে না যে খ্রিস্টান চার্চ সবসময় এ অনুভূতির সদয় প্রত্যুত্তর দেয়নি। ইতালির বোলোনায় পঞ্চদশ শতকের স্যান পেত্রোনিও গীর্জায় একটি দেয়ালচিত্র আছে যাতে ইসলামের নবীকে দেখানো হয়েছে নরকে, তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। ইউরোপে এমন অনেক শিল্পকর্ম আছে যাতে তাকে অবমাননার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। অবশ্যই বলতে হবে - এ যুগে ইসলাম সম্পর্কে খ্রিস্টান চার্চের অবস্থান মোটেও এরকম নয়। জিহাদি আক্রমণের নিন্দা জানাতে রোমের একটি গীর্জায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা ক্যাথলিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সময় বদলে গেছে, কিন্তু আমাদের এই যুগে নতুন সব ধর্মীয় দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষমূলক সংস্কার, এবং উগ্রপন্থী সহিংসতার জন্ম হয়েছে। ২০০২ সালে বোলোনার চার্চের দেয়ালচিত্র বোমা মেরে উড়িযে দেবার ষড়যন্ত্রের জন্য ইসলামী জঙ্গীদের সন্দেহ করা হয়। আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ বোলোনার ওই ঘটনার পরবর্তীকালে ইসলামের নামে ইউরোপে এবং বহু মুসলিম দেশেও বড় বড় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে - যাতে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। এগুলোর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সম্প্রীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেকারণেই মুসলিমদের মধ্যে যীশুকে কিভাবে চিত্রিত করা হয়, এবং তার গুরুত্বই বা কি - এটা উপলব্ধি করাটা হয়তো আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা খ্রিস্টানদের জন্য যেমন, তেমনি মুসলিমদের জন্যও। নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে - তা দূর করার একটা ভালো পন্থা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যেসব অভিন্ন ব্যাপার আছে তা তুলে ধরা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ভয়াল যীশু' দিয়ে বড়দিনের গৃহসজ্জা নিয়ে বিতর্ক গর্ভের শিশুর আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় 'যীশু'কে দেখেছেন এক মার্কিন দম্পতি আমেরিকার স্কুলে ধর্মগ্রন্থ পড়া বন্ধ হয়েছিল যে মামলায় নানা শংকার মধ্যে ঢাকার একটি পরিবারের বড়দিন", "doc2": "Ərəb dünyasında Isa adlandırılan Jesus-un adı Quran kitabında Məhəmməd peyğəmbərdən daha çox çəkilib. 21 il bundan əvvəl Britaniyaya gələndən hər dəfə Milad bayramı yaxınlaşanda mənə bu sual verilir. Mən isə cavab verirəm ki, Türkiyə müsəlman əhalisi çoxluq təşkil edən ölkə olduğundan 25 dekabr orada təqvimin sadəcə adi günlərindən biridir. Nə? Milad bayramı qeyd olunmur? Təkcə Türkiyə yox, dünya əhalisinin üstünlük təşkil edən hissəsi də Milad gününü bayram kimi qeyd etmir. Bu, nə qədər təəccüblü səslənsə də, Qərb ölkələrində bəzi insanlar hesab edirlər ki, Milad bayramı bütün dünyada qeyd olunan bayramdır. Amma Milad Xristianlığın peyğəmbəri İsa Məsihin doğum gününün bayramıdır. Milad işıqları uzun gecələr boyu işıq saçır. Bu gün Yəhudi, Hindu və Müsəlman təqvimlərində bayram sayılmır. Başqa sözlə, müsəlman dünyasında da ailələrin bir yerdə qeyd etdiyi bayram var, amma bu, Milad bayramı vaxtı yox, Ramazan bayramında olur. Bu məsələdə fərqi anlamaq vacibdir. Lakin eyni zamanada bizi biri-birimizə bağlayan oxşarlıqları da bilmək mühümdür. Jesus? Yəni, Isa? Islamda İsa Məsihin doğum günü qeyd olunmur, lakin İsaya ehtiram göstərilir. Müsəlmanlar onların dində özunəməxsus yer tutan Xristianlıq peyğəmbərinə böyük ehtiramla yanaşırlar. Müsəlman rəssamın Quranda təsvir olunan bakirə Məryəmdən bəhs edən illüstrasiyası Qurana əsasən, İsa peygəmbər Məhəmməd peyğəmbərə qədər dövrün ən böyük ehtiramla yanaşılan şəxslərindəndir. Faktiki olaraq, ərəb dünyasında Isa adlandırılan Jesus-un adı Quran kitabında Məhəmməd peyğəmbərdən daha çox çəkilib. Bundan əlavə, İslamın müqəddəs kitabında yalnız bir qadın öz adı ilə qeyd olunub. Mary? Yəni, Məryəm? Ərəbcə Məryəm kimi adı çəkilən Bakirə Mary-yə (Virgin Mary) Quran kitabında bakirəli doğuşdan bəhs edən bir fəsil həsr olunub. Lakin İslamda İsa Məsihin doğulması epizoduna aid hissədə nə Yusif ( Joseph) peyğəmbər, nə müdriklər, nə də ki axur qeyd olunur. Məryəm səhrada, palma ağacı altında doğur. Möcüzəvi olaraq, bu zaman Məryəmin yanında ağacdan yerə xurma düşür, ayaqları olan tərəfdə isə bulaq əmələ gəlir. İsanın yatması, İtalyan rəssamı Giovanni Battista Salvi-nin əsəri Ərdə olmayan qadının uşaq doğması onun əxlaqına dair suallar doğurur. Amma yeni doğulmuş körpə, Jesus (İsus) Allahın peyğəmbəri kimi danışmağa başlayır. Bu möcüzə onun anasına bəraət qazandırır. Ruhun peyğəmbəri Müsəlmanlar İsa peyğəmbərin adını çəkəndə sülh və əmin-amanlıq ifadəsi olan \"Əs-Səlamu aleykum\" kəlməsini də dilə gətirməlidirlər, yəni, Məhəmməd peyğəmbərin adı çəkiləndə deyilən eyni sözlər deyilməlidir. Və tapın görək, İslama əsasən, Qiyamət gününədək Yer üzündə ədaləti bərpa etmək üçün Yerə kimin qayıdacağı vəd edilir? Əlbətdə ki, İsa peyğəmbər, onun ikinci gəlişi və müsəlman ədəbiyyatında izzəti Qurandan kənara çıxır. Sufi filosof Əl-Ğazali İsa peyğəmbəri \"ruhun peyğəmbəri\" kimi təsvir edir. İbn Ərəbi onun haqqında \"müqəddəslərin möhürü\" ifadəsini işlədir. Müsəlmanlar öz oğlan övladlarına Isa (Jesus), qız övladlarına isə Məryəm (Mary) adlarını verirlər. Xristian ailəsində uşağına Məhəmməd adı verilməsini təsəvvür etmək olarmı? İslam aləminə İsa peyğəmbər tanışdı, çünki İslam nəzəriyyəsi yeddinci əsrin əvvəllərində dinə çevrildiyi dövrdə Xristianlıq Yaxın Şərqdə artıq özünə yer eləmiş bir din olub. Boloniyanın baş kilsəsi - San Petronio Bazilikası Sonrakı əsrlərdə İslam İsaya hörmət edərkən ədalət naminə deyək ki, Kilsə heç də həmişə eyni münasibəti göstərməyib. İtaliyanın Bologna şəhərində San Petronio kilsəsinin freskosunda müsəlmanların peyğəmbəri cəhənnəmdə, şeytanın ona əzab verdiyi halda təsvir olunub. Avropa boyu yaradılmış incəsənət əsərləri müsəlmanların aşağılanmasını təsvir edir. Cəhənnəmin doqquzuncu təbəqəsi İtaliyalı rəssam Giovani da Modena Məhəmməd peyğəmbəri özünün İlahi Komediyasında cəhənnəmin doqquzuncu təbəqəsinə göndərmiş şair Dante-dən ilham alıb. Dante-nin kitabı 1800-cü illərdə bir çox avropalı rəssamı Məhəmməd peyğəmbərin cəhənnəmdə cəzalanmasını təsvir etməyə sövq edib. Imam Sami Səlim Roma Santa Maria kilsəsində mərasimdə Onların arasında İngiltərə poeziyası və təsviri sənətində özünəməxsus iz qoymuş William Blake-in akvarel işi də var. Belçikadakı kilsədə, 17-ci əsrə aid rahib kürsüsünün üzərində İslam mələklərin ayaqları altında, tapdalanaraq yerə basılan vəziyyətdə təsvir olunub. Əlbəttə, Kilsə artıq bu mövqedə durmur. Zaman dəyişib, lakin bizim dövrün də öz gərginlik nöqtələri, qərəz və ekstremist zorakılığı mövcuddur. Dinlərarası dialoq 2002-ci ildə islamçı silahlılar Bologna kilsəsində freskaları partlatmağa hazırlıq görməkdə şübhəli bilinmişdilər. O vaxtdan bəri İslam adı ilə Avropa və bir çox müsəlman ölkələrində keçirilmiş hücumlar çoxsaylı insan itkilərilə nəticələnib, icmalar arasında nifaq yaradıb. Müsəlman İsa haqqında bilikləri artırmaq və onu öyrənmək xristianlar və müsəlmanlar üçün indi əvvəlkindən bəlkə daha da mühümdür. Dünya dinlərini birləşdirən ümumi məqamlara diqqət yetirilməsi gərginlik və nifaq doğuran amilləri aradan qaldırmağa kömək edə bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55784491", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-55778699", "doc1": "দাঙ্গা পুলিশের সাথে এক বিক্ষোভকারীর সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যতম এই বিক্ষোভ র‍্যালিগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। মস্কোতে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে, এমনও দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি অ্যালেক্সেই নাভালনি গত রবিবার গ্রেফতার হওয়ার পর বিক্ষোভের ডাক দেন। গত অগাস্টে রাশিয়ায় মি. নাভালনির ওপর স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। তারপর থেকে তিনি চিকিৎসার জন্য বার্লিনে ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: বিষ থেকে বেঁচে যাওয়ার পর এবার মস্কো গিয়ে আটক হলেন নাভালনি পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি স্নায়ুর ক্ষতিকারক নভিচক বিষ কী ও কীভাবে কাজ করে? পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহর ভ্লাদিভস্তক থেকে এক বিক্ষোভকারীকে আটকের দৃশ্য গত রবিবার বার্লিন থেকে মস্কোতে ফেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্যারোলের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মি. নাভালনি দাবি করেছেন যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ওভিডি ইনফো নামে একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা র‍্যালি পর্যবেক্ষণের কাজ করে থাকে, জানিয়েছে প্রায় ৩,১০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,২০০ জনের বেশি মস্কো থেকে। বিক্ষোভের মধ্যে মি. নাভালনি'র স্ত্রী ইউলিয়াকেও কিছুক্ষণের জন্য আটক করে পুলিশ। তিনি ঐ ঘটনার একটি ছবিও তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করেনি। বিভিন্ন জায়গায় অননুমোদিত বিক্ষোভ করায় বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মস্কো, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, সাইবেরিয়াসহ প্রায় ১০০ শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মানুষ। কিশোর ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা পর্যন্ত বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মি. নাভালনির মুক্তি দাবি করে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ধারণা অনুযায়ী, মস্কোর র‍্যালিতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ৪ হাজার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন রাশিয়ায় এই মাত্রার বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি আর মস্কোতে গত দশ বছরের মধ্যে এত বড় পরিসরে বিক্ষোভ হয়নি। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত রাশিয়ায় শনিবার মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে, তবে বিক্ষোভের সাথে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কিনা জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন করে অসংখ্য ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং মি. নাভালনি সম্পর্কে ভাইরাল মেসেজ শেয়ার করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার মিডিয়া পর্যবেক্ষণকারী আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান 'রসকমনাদযোর' টিকটকের কাছে দাবি জানিয়েছে যেন 'অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেআইনি কাজে উৎসাহ দেয়' - এরকম যে কোনো কন্টেন্ট তারা সরিয়ে নেয়। রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে যেন তারা তাদের সন্তানদের কোনো বিক্ষোভে অংশ নিতে না দেয়।", "doc2": "Şənbə günü ilk aksiyalar Rusiyanın şərqində yer alıb. Daha sonra nümayişlər silsiləsi Moskva və Sankt-Peterburq şəhərləri də daxil, Rusiyanın qərbinə yönlənib. Moskvada nümayişçilər arasında olan cənab Navalnının xanımı Yuliya saxlanılandan bir müddət sonra sərbəst buraxılıb. Hüquq müdafiəçilərinin OVD-info qrupuna əsasən, ölkə üzrə keçirilən mitinqlərdə 2 mindən artıq insan saxlanılıb ki, bu da son illərin ən yüksək göstəricisidir. Bundan əvvəl ən çox etirazçı - 1769 nəfər - 2017-ci ildəki korrupsiya əleyhinə nümayiş vaxtı saxlanılıb. Təşkilat şənbə günü axşam elan etdiyi rəqəmlərin yekun olmadığını bildirir. Saxlanılanların sayı barədə rəsmi məlumat verilməyib. Avropa İttifaqının Xarici işlər və təhlükəsizlik siyasəti üzrə Ali nümayəndəsi Rusiyada baş verən hadisələri narahatlıqla izlədiyini, kütləvi həbslər, qeyri-mütənasib güc tətbiqi, internet və telefon rabitəsinin kəsilməsinin təəssüf doğurduğunu deyib. \"Bazar ertəsi günü Aİ Xarici işlər nazirləri ilə növbəti addımları müzakirə edəcəyik,\" - Josep Borrel Twitter-də yazıb. Etirazlara qatılmaq barədə çağırış Aleksey Navalnının həbsindən sonra səslənib. Ötən ilin avqust ayında sinir-iflic maddəsinin istifadəsiylə həyata keçirilən hücumdan sonra, Almaniyada müalicə olunan Aleksey Navalnı 18 yanvarda Moskvaya qayıdarkən 30 gün müddətinə həbsə alınıb. O, özünə qarşı hücuma görə şəxsən Prezident Putini ittiham edib. Kreml ittihamları rədd edir. Novosibirsk şəhərində aksiya iştirakçısı \"Navalniya azadlıq\" plakatını tutur Aleksey Navalnının həbsindən sonra, onun başçılıq etdiyi Korrupsiyaya Qarşı Mübarizə Fondu tərəfindən \"Putinin sarayı\" barədə videoaraşdırma yayılıb. Navalnının sözlərinə görə, Qara dəniz sahilindəki Prezidentə məxsus nəhəng imarətin inşası Vladimir Putinə yaxın sahibkarlar tərəfindən maliyyələşdirilib. Kreml iddiaları \"cəfəngiyat\" adlandırır. YouTube-da yayılan video bir neçə gün ərzində 65 milyon dəfə izlənib. Prezident Vladimir Putinə məsxus olduğu iddia edilən imarət haqqında videoaraşdırma bir neçə gün ərzində 65 milyon dəfə izlənib Cümə günü Rusiya Daxili İşlər Nazirliyi və Baş Prokurorluq Moskvada və digər şəhərlərdə planlaşdırılan icazəsiz aksiyalarda həm təşkilatçıların, həm də adi iştirakçıların məsuliyyəti barədə xəbərdarlıq edib. Ötən axşam Baş Prokurorluq bildirib ki, etiraz qatılanlara qarşı üç ildən səkkiz ilədək cəzanı nəzərdə tutan \"kütləvi iğtişaşlar\" haqqında maddə ilə bağlı ittiham təqdim oluna bilər. Mitinqə iki gün qalmış təhlükəsizlik qüvvələri bəzi fəalları saxlayıblar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45100591", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44050778", "doc1": "মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় চরম সঙ্কটে ইরানের মূদ্রা চীন, রাশিয়া, এমনকী ইউরোপীয় মিত্রদের কারো কথায় কান দেননি তিনি। এরপর আজ (মঙ্গলবার) থেকে ইরানের ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি গত বেশ কিছুদিন ধরে বলছে এই নিষেধাজ্ঞা তারা মানতে পারবে না, কারণ তা চুক্তি ভঙ্গের সামিল হবে। কিন্তু ঘনিষ্ঠ পশ্চিমা মিত্রদের ছাড় দেবার কোনোরকম ইঙ্গিতই দেখাননি মি. ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যে দেশই ইরানের সাথে ব্যবসা করবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যবসা করতে পারবে না। কি বলছে ইউরোপ? ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে 'গভীর দু:খ' প্রকাশ করেছে। সোমবার এই তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ এক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের সাথে চুক্তি অব্যাহত রাখা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য জরুরী এবং চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। ইরানের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে বিশেষ আইনি সুরক্ষার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটেনের একজন মন্ত্রী অ্যলেস্টার বার্ট বিবিসিকে বলেছেন, যদি কোনো ইউরোপীয় কোম্পানি ইরানের সাথে ব্যবসার জন্য মামলার মুখে পড়ে, তাকে ইউরোপীয় আইনে সুরক্ষা দেওয়া হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিশ্রুতিতে অনেক ইউরোপীয় কোম্পানিই হয়তো ভরসা পাবেনা, অন্তত যারা আমেরিকায় ব্যবসা করে। জার্মান ট্রাক এবং মোটরসাইকেল নির্মাতা ডেইমলার ইরানের সাথে যৌথ-বিনিয়োগ একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। ইরান চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছেন মি ট্রাম্প (ফাইল ছবি) ইরানের প্রতিক্রিয়া ইরানের সরকার মুখে বলছে এই নিষেধাজ্ঞায় তাদের কিছু যায় আসবে না। ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন, এসব নিষেধাজ্ঞা বরং ইরানকে আরো শক্তিশালী করবে এবং তার দেশে আরো স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। কিন্তু বিবিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, ইরান এতে সাময়িকভাবে লাভবান হলেও তাদের অর্থনীতি সার্বিকভাবে এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে তারা ২০১৩ সালে পশ্চিমাদের সাথে মীমাংসা আলোচনায় আবার ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়া, অর্থনৈতিক দুর্দশার ফলে ইরানে গণ-অসন্তোষও বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ইরানি বলছেন, তাদের নেতারা বাস্তব অবস্থা স্বীকার করতে চাইছেন না, তারা সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে আমেরিকার সাথে লড়াই করতে চান। আরও পড়ুন: কেন বাংলাদেশের সিগারেটের বাজারে ঢুকছে জাপান শহিদুল আলমকে চিকিৎসা দিন: আদালত", "doc2": "Sazişi \"çürüyən və xarab\" adlandıraraq, o, razılığı \"bir vətəndaş olaraq\" özünə \"xəcalətverici\" olduğunu deyib. Avropalı mütttəfiqlərinin tövsiyələrinə məhəl qoymayaraq, o, sazişin 2015-ci ildə imzalanmasından sonra İrana qarşı dondurulan iqtisadi sanksiyaların yenidən tətbiq ediləcəyini qeyd edib. Buna cavab olaraq İran nüvə enerjisi və nüvə silahlarının istehsalında əsas mərhələlərindən biri olan urna zənginləşdirmə prosesinə bir daha başlayacağını bəyan edib. İranın prezidenti Həsən Ruhani deyib: \"ABŞ öz öhdəliklərinə hörmət etmədiyini bəyan edib.\" \"Mən İran Atom Enerjisi Təşkilatına əmr vermişəm ki, lazım olduğu halda hərəkət hazır olsunlar. Əgər lazım olsa biz yenidən zənginləşdirmə prosesinə sənaye səviyyəsində və heç bir məhdudiyyət olmadan başlaya bilərik.\" O, əvvəla \"bir neçə həftə\" gözləyərək müttəfiqləri və sazişi imzalayan digər ölkələrlə söhbət edəcəyini qeyd edib. \"Əgər biz sazişin hədəflərini sazişə üzv olan digər ölkələrlə əldə edə bilsək, o qüvvədə qalacaq,\" prezident Ruhani əlavə edib. Birgə Hərtərəfli Hərəkət Planı (Joint Comprehensive Plan of Action) adlı saziş İranın nüvə sənayesində fəaliyyətinin məhdudlaşdıraraq əvəzində İrana qarşı Birləşmiş Millətlər Təşkilatı (BMT), ABŞ və Avropa İttifaqının (Aİ) tətbiq etdiyi sanksiyaları dondurub. Sanksiyaların qaldırılması üçün İran nüvə sənayesində fəaliyyətini kəskin şəkildə məhdudlaşdırıb Cənab Trump bu qərarından əvvəl sazişin İranın nüvə fəaliyyətini sadəcə bir müddətə məhdudlaşdırdığından şikayətlənərəq, İranın ballistik raket texnologiyasının inkişafının qarşısını almadğını qeyd edib. O, sazişin İrana 100 milyard ABŞ dolları dəyərində xeyri olduğunu deyib və İranı bu pulu Yaxən Şərqdə \"silah, terror və zülmə\" xərcləmkəkdə təqsirləndirib. \"Mənə aydındır ki, biz bu çürüyən və xarab sazişin çərçivəsində İranın nüvə silahı əldə etməsinin qarşısını ala bilməyəcəyik\", cənab Trump deyib. \"İranı sazişi kökünəcən qüsurludur.\" Sazişi imzalayan sabiq ABŞ prezidenti Barack Obama Donald Trump-ın bəyanatının \"səhv\" olduğunu deyib. Sanksiyalar nə vaxtan başlaya bilər? ABŞ maliyyə nazirliyi iqtisadi sanksiyaların dərhal tətbiq olunmayacağını deyib. Nazirlik sanskiyaların 90 və 180 günlük müddətlərdən sonra tətbiq ediləcəyini bildirib. Nazirliyin rəsmi saytında dərc olunan bəyanatda qeyd edilir ki, İranın 2015-ci ildə imzalan sazişdə adları çəkilən sənayələri bir daha sanksiyalarla üzlşəcək. İranın neft, təyyarə və helikopter ixracı, qiymətli metallar bazarları bir daha sanksiyalarla üzləşəcək və həmçinin hökumətin ABŞ dolları valyutasını almaq qabiliyyəti məhdudlaşacaq, bəyanatda bildirilir. Xəbərlərə görə, ABŞ-ın Milli Təhlükəsizlik üzrə Məsləhətçisi John Bolton bildirib ki, altı ay ərzində İranla bütün biznes əlaqələrini yekunlaşdırmayan Avropa şirkətlərinə qarşı ABŞ sanksiyaları tətbiq olunacaq."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43340352", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-39778265", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে অবস্থানরত দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের একটি আমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর করেন। আরো পড়ুন: আশির দশকে ইডেন গার্ডেনসে খেলেছিলেন যে নারী মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া তাদের সব পারমানবিক এবং মিসাইল কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে হুমকি ও পাল্টা হুমকির মাঝে এ ধরণের বৈঠকের বিষয়টি বড় ধরনের অগ্রগতি। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা পিয়ংইয়ং-এ উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে একটি নজিরবিহীন বৈঠক করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ এবং স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে ফেসবুকে আশ্রয় চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা?", "doc2": "ABŞ prezidenti Kim Jong-Un-u \"çox ağıllı şəxs\" kimi dəyərləndirir. Trump Bloomberg televiziyasına verdiyi müsahibədə \"Əgər onunla görüşməyim münasib olsaydı, düzgün şəraitdtlərlə bunu edərdim. Bunu etməkdən qürur hissi keçirərdim. Bir daha təkrar edirəm düzgün şərtlərlə onunla görüşə bilərəm\". Lakin Trump hansı şərtlərin nəzərdə tutduğunu açıqlamayıb. \"Belə bir görüşün baş tutması üçün lazım olan şərtlərin mövcud olmadığı məlumdur\", - deyə Ağ Ev nümayəndəsi Sean Spicer isə açıqlamasında bildirib. Sean Spicer qısa müddət ərzində Trump-la Kim Jong-Un arasında ikitərəfli görüşün baş tutacağını gözləmədiyini söyləyib. Şimali Koreyanın proqramı \"təhrikedicidir\" ABŞ prezidenti Donald Trump Fox News televiziyasına verdiyi müsahibədə Şimali Koreyaya qarşı daha sərt bir üsuldan istifadə edib. Trump Şimali Koreyanın \"təhrikedici\" kimi dəyərləndirdiyi nüvə proqramının ABŞ-a həddən artıq təhlükə yaratdığını söyləyib. ABŞ lideri lazım gələrsə bu ölkəyə qarşı hərəkətə keçməkdən çəkinməyəcəyini də vurğulayıb. CBS televiziyasına verdiyi müsahibədə Kim Jong-Un-u \"çox ağıllı şəxs\" kimi qiymətləndirən Trump Şimali Koreya nüvə proqamına son verməyəcəyi təqdirdə bu ölkəyə qarşı hərbi müdaxilə ehtimalını istisna etməyib. Trump həmçinin Şimali Koreyaya qarşı aparılacaq müharibədə milyonlarca insanın öləcəyi barədə xəbərdarlıq da etmişdi. ABŞ-ın Cənubi Koreyada raketdən müdafiə sistemi yerləşdirməsinə Şimali Koreya ilə yanaşı Çin də reaksiya vermişdi Şimali Koreya yarımadasında gərginlik həftələrdir ki, yüksəkdir Şimali Koreyanın yaradıcısı Kim İl-Sung-un doğum günü olan 15 apreldə, ya da bu tarixdən əvvəl və ya sonra uzaq mənzilli raket və nüvə sınağının həyata keçiriləcəyindən ehtiyat edilir. Rəsmi Pxenyan bazar ertəsi günü \"ABŞ-ın aqressiv və əsəbi mövqeyi qarşısında\" nüvə gücünü daha da artıracağını açıqlamışdı. Şimali Koreya ötən həftənin şənbə günü son iki həftədə ikinci dəfədir ki, ballistik raketi sınağını keçirib. Cənubi və Şimali Koreya 1953-cü ildə əldə olunmuş atəşkəsdən sonra texniki baxımdan müharibə şəraitindədirlər və hər iki ölkədə hərbi təlimlər keçirilir. Cənubi Koreyaya hərbi gəmilərini göndərən ABŞ həm də bu ölkəyə mübahisəli THAAD raketdən müdafiə sistemini yerləşdirməyə başlamışdı."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51255748", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-49700893", "doc1": "চীনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি বলে সন্দেহ করা হয়। আকাশ থেকে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ কীভাবে ঐ শহরে ১০ দিনের মধ্যে একটি হাসপাতাল তৈরি করছে। বেইজিং-এর তিয়ানানমেন গেট-এর বাইরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন মা ও ছেলে। দু'জনেই মুখোশ পরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনে এবার চান্দ্র নববর্ষের কিছু অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গিয়েছিলেন ব্রিটেন-আফ্রিকা বিনিয়োগ সম্মেলনে। সেখানে এক স্টলে এমন একটি যন্ত্র ছিল যার ওপর হেঁটে গেলে তা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী হাঁটা-চলার চেয়েও বেশি কিছু করেছিলেন। থাইল্যান্ডের সুফন বুরি প্রদেশের একটি আখের ক্ষেতে আগুন জ্বলছে। পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ কৃষিক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগ নিষিদ্ধ করেছে। তাই কৃষকরা রাতের বেলা কাজটি করে থাকেন। সুইডিশ পরিবশেবাদী আন্দোলনকারী গ্রেটা টুনবার্গ টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে গিয়ে ভাষণ দেয়ার সময় পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য বিশ্ব নেতাদের তিরষ্কার করেছেন। বুরকিনা ফাসোর একটি শরণার্থী শিবিরে নারী ও শিশুরা। সোমবার সেখানকার আলামোতে হামলার পর শত শত পরিবার ঘর ছেড়ে পাালিয়ে যায় এবং এই অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী রিচমন্ড। নতুন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার প্রতিবাদকারী। যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন রাজ্যে ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখা তাদের নাগরিক অধিকারের অংশ। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাডেলেইড হিলের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন সাইকেল রেসের একদল প্রতিযোগী। গত ডিসেম্বরে দাবানলে এই এলাকাটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ইংল্যান্ডে সেভার্ন নদীর ওপর প্রিন্স অফ ওয়েলস ব্রিজ। নদী থেকে তৈরি কুয়াশার এই ছবিটি তুলেছে ন্যাশনাল পুলিশ এয়ার সার্ভিস। ব্রিটেনের খ্যাতনামা বাফটা পুরষ্কারের ট্রফি তৈরি করছেন রে টেরি। চুল্লিতে গলিত ধাতু থেকে এই ট্রফিটি তৈরি হয়। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারী বাফটা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। কপিরাইট স্বত্ত্ব ছবির মধ্যে স্বীকার করা হয়েছে।", "doc2": "Panama şəhəri yaxınlığındakı araşdırma mərkəzinin alimi əlindi iki qızılı qurbağanı saxlayır. Onlar ölümcül xitridiomikota xəstəliyinə düçar olub. Margaret Atwood-un Qulluqçunun hekayəsi əsrinin qəhrəmanı kimi geyinmiş insanlar Londonda onun yeni romanını əldə etmək üçün növbəyə düzülüblər. Hindistanda ənənəvi məhsul festivalında fillərə nəzarət edən şəxs. Avstraliyanın kriket komandası İngiltərənin Manchester şəhərində qələbəyə sevinir. Minlərlə insan Zimbabvenin keçmiş prezidenti Robert Mugabe-ni son mənzilə yola salmaq üçün ölkə paytaxtı Hararedəki stadiona toplaşıb. Çinin müasir rəqs ansamblı Moskvanın Böyük teatrında Yang Liping-in Bahar ayinləri rəqsini ifa edir. Amazon meşələrindəki yanğın zamanı alışmış ağac. Richard Mann 291.7 kq çəkisi olan balqabağın üzərində oturub. O, İngiltərənin Yorkshire əyalətindəki Payız gül sərgisində nəhəng tərəvəzlər kateqoriyasına görə birinci yeri qazanıb. Niderlandda keçirilən breykdans üzrə dünya çepionatında çıxış edən iştirakçı. Bütün fotoların müəllif hüquqları qorunur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48159161", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region/2015/03/150313_putin_disappearance", "doc1": "কিম জং আনকে স্বাগত জানানোর জন্য নুয়েন ফু চং ছিয়াত্তর-বছর বয়সী নুয়েন ফু চং গত ১৪ই এপ্রিল অসুস্থ হওয়ার পর থেকে রীতিমত উধাও হয়ে গেছেন। মি. চং গত শুক্রবার দেশটির সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্যে অনুপস্থিত থাকায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও জোরদার হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। অথচ ওই অনুষ্ঠানে তারই সভাপতিত্ব করার কথা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম যুদ্ধের মোড় পাল্টে দেয়া সেই ছবি দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী পাড়ি দিচ্ছে ঢাকা অঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে? উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে' শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে কিভাবে আগ্রহী করবেন অত্যন্ত গোপনীয় ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগে সরকারি একজন মুখপাত্র বলেছেন, কাজের চাপ ও আবহাওয়া প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন মি. চং শিগগিরই কাজে ফিরবেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা বাড়তে থাকে। নুয়েন ফু চং \"একদলীয় শাসনের অধীনে ভিয়েতনামে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি দেশটিকে একটি স্থিতিশীল জাতি হিসেবে তুলে ধরে বলে মনে করা হয়,\" বলছিলেন বিবিসি ভিয়েতনাম সার্ভিসের নিউই এডিটর জিয়াং নুয়েন। \"গত নভেম্বরে ভিয়েতনাম আইন পাশ করে যাতে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।\" মি. নুয়েন বলেন, এটি করা হয় গুজব থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে। এসব গুজবকে তারা সরকারবিরোধী আক্রমণ বলে মনে করে এবং এ আইন ইতোমধ্যেই স্থানীয় সাংবাদিকদের সতর্ক করেছে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে। বয়স ও আপোষহীন ভাবমূর্তি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট চং তার দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কারণে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ওই অভিযানে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মি. চং সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হ্যানয় সফরের সময় তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।", "doc2": "Beynəlxalq Siyasi Ekspertiza İnstitutunun direktoru Yevgeni Minçenko hesab edir ki, Putinin ictimaiyyət qarşısından belə yoxa çıxmaları adi praktikadır Prezidentin mətbuat katibinin sözlərinə görə isə Putin sağlamdır və əsasən də “qeyri-rəsmi” formatda fəal şəkildə işləyir. Putinin ötən cümə Qazaxıstan və Belarus prezidentləri ilə görüşmək üçün Astanaya səfəri ləğv olunandan bəri onun xəstələndiyi barədə ehtimallar fəal şəkildə müzakirə olunurdu. Eyni vaxtda “Rosneft”in rəhbəri İqor Seçinin vəzifəsindən gedəcəyi barədə informasiya peyda olmuşdu. Bu barədə “Nezavisimaya qazeta”nın baş redaktoru Konstantin Remçukov Twitter-də yazmışdı. Hərçənd “Rosneft”in mətbuat xidməti bu xəbəri “əsassız fantaziya” kimi təkzib etmişdi. “Təhlükəsizlik məsələsi” Prezidentin internet saytı ötən cümə axşamı onun erməni həmkarı Serj Sarkisyanla telefon söhbəti barədə xəbər vermişdi. Lakin prezident hakimiyyətinə yaxın jurnalist çevrələrindən BBC-nin Rus xidmətinə bildirmişdilər ki, dövlət başçısı doğrudan da ötən həftədən gözə dəyməyib. Rusiya prezidentinin sözçüsü Dmitri Peskov şaiyələri dağıtmağa çalışıb və Putinin xəstəliyi və İqor Seçinin tezliklə “Rosneft”in rəhbəri vəzifəsindən gedəcəyi barədə informasiyanı “yaz havasının təsiri” ilə əlaqələndirib. “Elə ki, yazda Günəş parlayır, havadan baharın ətri gəlir, bəzi başlarda qızışma gedir. Kiminsə gözünə Seçinin istefası görünür, kiminsə gözünə hökumətin istefası... Bəziləri isə prezident Putini bir neçə gün televizorda görə bilmirlər” – deyib Peskov. Lakin Peskov dərhal da təsdiq edib ki, Putin cümə axşamı keçiriləcək FTX kollegiyasında da iştirak edə bilməyəcək. “Prezidentin ötən həftənin sonunda ictimaiyyət qarşısında görünməməsi onun sıx iş qrafiki və qapalı görüşləri ilə bağlıdır” – mətbuat katibi deyib. Beynəlxalq Siyasi Ekspertiza İnstitutunun direktoru Yevgeni Minçenko hesab edir ki, Putinin ictimaiyyət qarşısından belə yoxa çıxmaları adi praktikadır. Google-da axtarış “O yoxa çıxmır, işləri ilə məşğul olur. Bu təhlükəsizlik məsələsidir, axı prezidentin qrafikində kövrək nöqtələr olmamalıdır” – ekspert BBC-nin Rus xidmətinə deyib. Minçenko əmindir ki, hər dəfə Putinin xəstəliyi və ölümü barədə müzakirələri eyni adamlar açırlar. “Bu söz-söhbətə əsas yoxdur, lakin əgər belə söz-söhbət ortaya çıxırsa, deməli bu, kimə isə lazımdır. Putin ictimaiyyət qarşısına çıxanda bu adamlar axmaq vəziyyətində qalacaqlar. Onlar 2012-ci ilin payızında da eyni söhbətləri edirdilər: “Vəssalam, qurtardı”- deyirdilər. Sonradan heç üzr də istəmədilər”. Son dəfə bu qədər uzun müddətdə Putin ictimaiyyət qarşısında 2012-ci ilin payızında görünməyib. Yeri gəlmişkən, onun 15 illik hakimiyyəti zamanı bundan başqa “qeyri-ictimai” dövrü olmayıb. O vaxt 2012-ci ildə onun köməkçiləri əmin etməyə çalışırdılar ki, Putin məşğuldur və sənədlərlə işləyir, hərçənd sonradan Dmitri Peskov etiraf etmişdi ki, prezident bel ağrısından əzab çəkir. Bəzi ehtimallara görə, Putin bel zədəsini məşhur “durnalarla uçuş” zamanı alıb, lakin Belarus prezidenti Aleksandr Lukaşenko deyib ki, Putin sevdiyi cüdo məşqi zamanı zədələnib. Həmçinin baxın: Putin deltaplanla durna qatarını müşayiət edib Asiya-Sakit Okean İqtisadi Şurasının 2012-ci ilin sentyabrında keçirilən sammitində jurnalistlər Putinin axsadığını görmüşdülər, bundan iki ay sonra isə İstanbulda Türkiyənin o vaxtkı baş naziri Recep Tayyip Erdoğan Rusiya prezidentinə kresloya əyləşməkdə şəxsən kömək etmişdi. O vaxt Rusiyanın dövlət kanalları prezidenti ya oturarkən, ya da böyük planda göstərirdilər. Kremlin Vladimir Putinin səhhətinin pisləşməsi barədə bütün şaiyələri belə cidd-cəhdlə təkzib etməsi, müşahidəçilərin yadına Sovet rəhbərlərinin səhhətinin az qala dövlət sirri olduğu vaxtları salıb. Elə indi də Kuba və KXDR-in rəhbərlik aparatları öz liderlərinin səhhəti barədə həvəssiz məlumat verirlər. “Hibrid sağlamlığı” Runet isə bu hadisəyə yumoristik şərhlər seli ilə reaksiya verib. “Bəzi məlumatlara görə Putinin səhhətindəki problemlər barədə şaiyələri pirotexnika istehsalçıları buraxırlar” – yazır istifadəçi Olqa Motorna. “Vladimir Vladimiroviç xəstə deyil – onda hibrid sağlamlığı var”. Muxi-qluxi hesabından yazılmış bu şərh isə Qərbin işlətdiyi “hibrid müharibə” ifadəsinə işarədir. Putinin nə dərəcədə sağlam olduğu barədə Dmitri Peskovun dedikləri isə zərb-məsələ çevrilib. Mətbuat katibinin dediyinə görə, “prezident görüşəndə adamın əlini elə sıxır ki, az qalır sındırsın”. Məsələn, karikaturaçı Sergey Yolkin operativ şəkildə mətbuat katibinin dediklərini onun özünə şamil edib. “Görüşdüyü adamların əllərini bərkmi sıxır? Əli hələ istidir?” – deyə dead_lesbian adlı istifadəçi yazır. Bu arada putinumer.com (putinölüb) saytının populyarlığı artıb. Saytı ziyarət edənlərə Putinin ölüb-ölmədiyini yoxlamaq təklif olunur və onlar hər dəfə klikləyəndə suallarına müxtəlif cavablar alırlar. Bəziləri artıq mümkün hakimiyyət dəyişikliyini təsəvvürə gətirməyə çalışıblar. “Şoyqu, Seçin, Bastrıkin, Patruşev, Yakunin, Kadırov və Rotenvberqlər dövrələmə oturublar və deyirlər: “Vəssalam, tiran getdi... Gəlin Boeing və adsız qəbirlər məsələsini boynumuza alaq, qoşunları çıxaraq, Krımı qaytaraq, büdcəni kəsməyi dayandıraq, Çurkini, Ernstlə birlikdə Kiselyovu işdən çıxaraq, xürafatdan əl çəkək, “Antimaydanı” dayandıraq... DTK-nı buraxaq və yalnız maaşla yaşamağa başlayaq. Hə, bir də Navalnıya zəng edin...” Jurnalist və yazıçı, Çeçenistan kampaniyasının veteranı Arkadi Babçenko mümkün söhbəti məhz belə qələmə alıb. Rusiya konstitusiyasına görə prezident öz səlahiyyətlərini yerinə yetirmək iqtidarında olmadıqda, fövqəladə seçkiyədək onun yerini baş nazir tutur. Bu mənada sıraca üçüncü yerdə Federasiya Şurasının spikeri gəlir. Müxtəlif vaxtlarda politoloqlar Putinin mümkün varisləri arasında baş nazirin müavini Dmitri Roqozinin, müdafiə naziri Sergey Şoyqunun və hətta Çeçenistan başçısı Ramzan Kadırovun adlarını çəkiblər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51956259", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52076021", "doc1": "পুরো ইটালি গত দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে এনিয়ে দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হলো করোনাভাইরাসের কারণে। ইতালিতে ৩৫ হাচার ৭১৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া লোমবার্ডি অঞ্চলে একদিনে সর্বোচ্চ ৩১৯ জন মারা গেছে। করোনাভাইরাসে চীনের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতলি। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৮ হাজার ৭৫৮ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন চীনে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে, যার মধ্যে ৮০% এর বেশিই ইউরোপে ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যার অনেকাংশই এশিয়ার মধ্যে পড়ে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস অনেক দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধান প্রধান অনুষ্ঠানগুলো বাতিল করা হয়েছে যেন সংক্রমণের হার কমে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ না পড়ে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, \"মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোকে অবশ্যই মানুষকে পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষ খুঁজে বের করার পাশাপাশি মানুষকে আলাদা (আইসোলেট) করতে হবে।\" প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইতলি অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছে। সেখানকার সরকার ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ট করছে। সেখানকার মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হলেও মৃত্যুর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সির পরিচালক মাইক রায়ান ধারণা করেছেন, ইতলির এই পরিস্থিতির কারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে সংখ্যায় 'আশ্চর্য রকম' বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হওয়া এবং জনসংখ্যায় বয়োবৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বেশি হওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কাইজার পারমানেন্টে গবেষণা কেন্দ্রে এরই মধ্যে মানুষের ওপর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নিশ্চিতভাবে কাজ করবে কিনা তা জানতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। জনশূন্য হয়ে পড়েছে ইটালির শহর, সড়ক, পর্যটন কেন্দ্রগুলো ইউরোপের অন্যান্য জায়গার পরিস্তিতি কী? স্পেনে এর মধ্যে ৫৯৮ জন মারা গেছে এবং ১৩ হাজার ৭১৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। ফ্রান্সে সংক্রমিত হার অন্তত ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে মঙ্গলবার, দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৩০ জনে। মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের, যাদের মধ্যে ৭% এর বয়স ছিল ৬৫ বছরের নিচে। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪'এ। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১২ জন এবং ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে। টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল জার্মানদের অনুরোধ করেছেন যেন তারা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেন এবং মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে সহায়তা করে। বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে এবং ১ হাজার ৪৮৬ জনের মধ্যে শনাক্ত করা গেছে রোগ।", "doc2": "Lombardiyada ölüm hallarıbın sayı kəskin artıb Bu o deməkdir ki, İtaliyada koronavirusdan ölənlərin sayı 9144 nəfərə çatıb. Bu arada Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının (ÜST) rəhbəri doktor Tedros Adhanom Ghebreyesus, qoruyucu vasitələrin \"xroniki qlobal çatışmazlığını\" insanların həyatını xilas etmək üçün görülən səylərə \"ən ciddi təhdid\" adlandırıb. İtaliya Avropada koronavirusun ən ağır təsirinə qalan ölkədir. Ölkədə, demək olar ki, bütün obyektlər bağlanıb, insanlara evlərində qalmaq deyilib. Cümə günü İtaliya rəsmiləri ölkədəkarantın məhdudiyyətlərinin aprelin 3-dən sonrakı dövr üçün də uzadılacağının gözlənildiyini bildiriblər. Ölkənin şimalında yerləşən Lombardiyada ən ağır vəziyyət yaranıb, burada ölənlərin sayında kəskin artım baş verib. Koronovirusa yoluxanların ümumi sayı İtaliyada 86500 nəfərə çatıb. Roma müxbiri Mark Lowen-in təhlili İtalyanlar üçün bu faciənin miqyasının dərk edilməsi gündən günə ağırlaşır. Koronavirusdan ölənlərin sayı elə sürətlə artır ki, sanki ölkə hər gün bir kəndin əhalisini itirir. Son 24 saat ərzində yalnız Lombardiya bölgəsində 541 ölüm hadisəsi baş verib. Tunelin sonunda işığı görmək çətin olsa da, bunun üçün müəyyən zəmin var: yeni infeksiyanın yayılma sürəti azalmaqdadır. Lakin iki həftədən çoxdur ki, ölkə üzrə karantın tədbirləri elə də böyük bir irəliləyişə səbəb olmayıb. Dəhşətli xəbərlər gəlməyə davam edir: epidemiya başlayandan bəri 46 həkim ölüb. Karantin rejiminin uzadılacağı şübhə doğurmur - Milli Səhiyyə Şurası karantın rejiminin bəlkə də aylarla çəkəcəyini istisna etməyib. Bu addım, karantinin iqtisadiyyatı çökdürdüyü yalnız İtaliyada yox, İtaliyada görülən tədbirləri özündə tətbiq etməyə hazırlaşan ölkələrdə də narahatlıq doğurur. İtaliya Avropanın digər ölkələrini həm koronavirusun inkişafına, həm də görülən karantin tədbirlərinə görə 1-2 həftəlik zaman kəsiyinə qabaqlayır . Odur ki, burada baş verənlər başqa yerlərdə yaxından izləniləcəkr. Avropanın qalan ölkələrində nə baş verir? Britaniyanın Baş naziri Boris Johnson koronavirus testi müsbət olmuş ilk Qərb liderlərir. O deyib ki, onda \"yumşaq smptomlar\" aşkar olunub və o, özünü Downing Street-də təcrid rejiminə salıb. Boris Johson deyib ki, \"bu virusla mübarizə apardığımız bir dövrdə hökümətin gördüyü tədbirləri video-konfranslar vasitəsiylə yönəltməkdə davam edəcək\". İspaniya - koronavirusun ən ağır zərbəsi dəyən Avropanın İtaliyadan sonra ikinci ölkəsidir. İspaniyada da ölüm saylarının göstəricisi kəskin artıb, lakin yeni yoluxma hallarının əmsalı sabitləşib, rəsmilər bildirib. Təsdiqlənmiş yoluxma hallarının sayı İspaniyada 64059 nəfərə çatıb. Son 24 saat ərzində ölənlərin sayı 769, epidemiya başladıqdan koronavirusdan ölənlərin ümumi sayı isə 4858 nəfər təşkil edib. İspaniya höküməti ölkədə fövqəladə rejimi aprelin 12-dək uzadıb. İnsanların sərbəst hərəkəti kəskin dərəcədə məhdudlaşdırılıb, dükanlar və müəssisələr bağlanıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43596009", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43576282", "doc1": "প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ঘেঁটে, তাদের অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়েছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তারা ব্যবহারকারীদের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলের ভিত্তিতে তাদের টার্গেট করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে। ফেসবুক বা গুগল যে আপনার অনেক ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সংরক্ষণ করছে, সেটা এই কেলেংকারি ফাঁস হওয়ার পরই কেবল জানা গেল, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। যারা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা জানেন, এটা চলছে বহুদিন ধরেই। আরো পড়ুন: আপনার মোবাইল কি গোয়েন্দাগিরি করছে? ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে আপনার ফেসবুক ডিলিট করার কি সময় এসেছে? আপনার কি আদৌ কোন ধারণা আছে ফেসবুক বা গুগল আপনার জীবন সম্পর্কে কতটা জানে? অনলাইনে আপনার শেয়ার করা তথ্যের গোপনীয়তা সম্পর্কে যদি আপনার মধ্যে কোন উদ্বেগ থাকে, তাহলে সহজ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। বার্লিন ভিত্তিক একটি প্রযুক্তি কোম্পানি 'ট্যাকটিক্যাল টেক' এর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি এই সহজ নির্দেশিকা তৈরি করেছে; ১. আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ঠিক করুন ফেসবুক আপনাকে সব তথ্য ডাউনলোড করার অপশন দেয়। এর মধ্যে আপনার ছবি থেকে শুরু করে এ যাবত যত মেসেজ আপনি আদান-প্রদান করেছেন, সবকিছু। যদি এসব তথ্যের কপি পেতে চান, তাহলে জেনারেল একাউন্ট সেটিং এ যান। সেখানে 'ডাউনলোড এ কপি অব ইউর ফেসবুক ডাটা'তে ক্লিক করুন। এরপর সব ডাটা আপনার ইমেল ঠিকানায় চলে যাবে। জেনারেল একাউন্ট সেটিং থেকে আপনি 'অ্যাপস' এ ক্লিক করে দেখতে পারেন কোন অ্যাপসগুলি অপ্রয়োজনীয়। এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করতে পারেন। হয়তো বহু বছর আগে ফেসবুবকে একটি কুইজ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অ্যাপটি হয়তো আপনার অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে। এরকম কোন অ্যাপ ডিলিট করার আগে দেখে নিতে পারেন, আপনার সম্পর্কে কত কিছু এই অ্যাপ জানে। আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন! এছাড়াও আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে এরকম বহু ছবি থেকেও নিজেকে আন-ট্যাগ করতে পারেন। প্রোফাইল পেজে গিয়ে অ্যাকটিভিটি লগ ভালো করে দেখুন। স্ক্রল করে যত ছবি আর পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে সেগুলো দেখুন। আপনার অপছন্দের ছবি আর পোস্ট ডিলিট করুন। ২. ওকে গুগল, আমার সম্পর্কে কতটা জানো তুমি? এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনি প্রতিদিন অন্তত একবার গুগলের কোন না কোন কিছু ব্যবহার করেন। এবং বিশ্বের আর যে কোন কোম্পানির চেয়ে গুগল আপনাকে অনেক ভালোভাবে চেনে। আপনার গুগল একাউন্টে লগ ইন করুন। আপনার লোগোর ওপর ক্লিক করুন। এরপর প্রাইভেসি চেক আপ পেজে গিয়ে আপনার সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিন। সেখানে তিন নম্বর ধাপে পার্সোনালাইজ ইউর গুগল এক্সপেরিয়েন্সে যান। এর মাধ্যমে গুগলের নিয়ন্ত্রণ আপনি নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে গুগল আপনার কোন তথ্য 'লগ' করবে, তার সীমা আপনি ঠিক করে দিতে পারেন। আপনার কী কী তথ্য গুগলের কাছে আছে, সেটা জানতে চাইলে এই লিংকটিতে যেতে পারেন: google.com/takeout ৩. লোকেশন ডাটা সম্পর্কে কতটা জানেন? আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে, তাহলে এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনার অনেক তথ্য চলে যাচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপসের কাছে। আপনি কে, কোথায় থাকেন, কোথায় যান, সব তাদের জানা। আপনার লোকেশন হিস্ট্রি জানতে আপনাকে যা করতে হবে: • Android: Open Google Maps > menu > Your timeline. Select individual items for more detail. • iPhone: Settings > Privacy > Location Services > scroll down and select System Services >scroll down and select Frequent/Significant Locations. Select individual items for more detail. On your mobile/desktop browser, visit: https://www.google.com/maps/timeline?pb যদি আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপসকে আপনার ওপর নজরদারি করতে দিতে না চান তাহলে যেখানে গিয়ে সেটিং বদলাতে পারেন: • Android: Settings > Apps > App permissions > Location. • iPhone: Settings > Privacy > Location Services > manage location access on a per-app basis. ৪. প্রাইভেট ব্রাউজার ব্যবহারের চেষ্টা করুন কোন একটা শপিং সাইটে গিয়ে কিছু কেনার চেষ্টার পর নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন এরপর যে পেজেই যাচ্ছেন, সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছেন? কিছু থার্ড পার্টি কোম্পানি আপনাকে টার্গেট করে এসব পাঠাচ্ছে। এরা পর্দার আড়ালে থেকে আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্য জোগাড় করে। আপনি কি সার্চ করছেন, কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন এবং আপনার আইপি এড্রেস কি, সব তাদের জানা। আপনার জন্য একটা দুঃসংবাদ হলো, বাজার চলতে কোন ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিংই আসলে প্রাইভেট বা গোপনীয় নয়। এরা সবাই কুকিজ থেকে শুরু করে ব্রাউজিং হিস্ট্রি, ওয়েব ফর্ম এন্ট্রি থেকে শুরু করে আরও নানা তথ্য মওজুদ করতে থাকে। তবে গুগল, ফায়ারফক্স এবং সাফারিতে প্রাইভেট বা 'ইনকগনিটো' ব্রাউজিং মডের সুযোগ আছে। এই মডে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ, টেম্পোরারি ফাইল এবং ওয়েব এন্ট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। নিজে চেষ্টা করে দেখতে পারেন: Open your browser (Firefox, Chrome, Chromium or Safari) and go to Menu > New Private/Incognito Window (depending on the browser). ৫. নিজেকে প্রশ্ন করুন:আমার কী আসলে এত রকমের অ্যাপস দরকার? আপনি কি জানেন আপনার ফোনে কত রকমের অ্যাপস আছে? অনুমান করুন তো? এরপর নিজে গুনে দেখুন। যা ভেবেছিলেন তার চেয়ে বেশি? কোনটা রাখবেন কোনটা ডিলিট করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই কঠিন। তবে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে সাহায্য করবে: এখন হয়তো আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন অ্যাপগুলো ডিলিট করা যেতে পারে। আরো পড়ুন: ছেলে হারানো ইমামের মাইকিং ঠেকিয়ে দিল আরেকটি দাঙ্গা বিক্ষোভে উত্তাল গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি", "doc2": "Məlumata görə, Cambridge Analytica şirkəti ABŞ seçicilərini ünvanlı siyasi reklamla hədəfləməyə imkan verən sistemin yaradılması üçün 50 milyonadək Facebook istifadəçisinin şəxsi məlumatından istifadə edib. Google və Facebook-un şəxsi məlumatlar topladığı yəqin ki, sirr deyil. Lakin onların istifadəsinin miqyası naməlum qalır. Biz onlayn məlumatın nəzərdən keçirilməsi və istifadə olunmamış şəxsi informasiyanın silinməsi barədə Berlində mənzillənən Tactical Tech rəqəmsəl təhlükəsizlik şirkətilə söhbət etdik. 1. Facebook profilinizi təmizləyin Facebook, fotolar, göndərdiyiniz və aldığınız messajlar da daxil bütün məlumatlarınıza giriş verir. Nüsxənizi almaq üçün: General Account Settings-ə gedib \"Download a copy of your Facebook data\" klikləyin və məlumatlar sizə göndəriləcək. Orada ikən \"Apps\"-lara nəzər salıb haqqınızda məlumat saxlayanları silin. Bundan əlavə, bəyənmədiyiniz bütün şəkillərdən öz adınızı \"un-tag\" edə bilərsiniz. Profil səhifənizdə View Activity Log-a daxil olub həmin şəkil və postları görə və silmək istədiklərinizi seçə bilərsiniz. 2. Yaxşı Google, haqqımda nə qədər bilirsən? Çox güman ki, gün ərzində Google-un ən az bir məhsulundan yararlanırsınız. Və bu şirkət sizi hər kəsdən daha yaxşı tanıyır. Hesabınıza daxil olun, loqonuza klikləyin və Privacy checkup (Məxfilik Müayinəsi) səhifəsində məlumlatlarınıza nəzər salın. Üçüncü etap - Personalise your Google experience (Google təcrübənizi Özəlləşdirin) idarəni sizə həvalə edir. Bu sizə gələcəkdə paylaşılan məlumatlarınızı məhdudlaşdırmaq imkanı verir. Tətbiqetmə proqramlarının idarə gücünü də limitləmək mümkündür. Google-da olan məlumatlarınızı görmək üçün bu linki izləyin: google.com/takeout 3.Gəlin, məkan məlumatından danışaq Əgər smartfonunuz varsa, kimliyiniz, yaşadığınız yer və hara getdiyiniz barədə məlumatları üçüncü tərəf proqramlara ötürmək şansı yüksəkdir. Məkan tarixinizə bu cür baxa bilərsiniz: Telefonunuz və ya kompüter ekranı üçün bu səhifəyə baxın: https://www.google.com/maps/timeline?pbb Bu və ya digər üçüncü tərəf applikasiyaların sizi izləməsini istəmirsinizsə: 4. Gizli axtarış sistemindən istifadə etməyə çalışın İnternet üzərindən bazarlıq etdiyiniz səhifə və hər gördüyünüz səhifədəki məhsulları xatırlayırsınızmı? Bunlar üçüncü tərəf şirkətlərin sahibi olduğu izləyiciləridir. Onlar səhnə arxasında oturub, genişmiqyaslı məlumat toplamaqla məşğuldurlar. Buraya bizim axtarışlarımız, daxil olduğumuz səhifələr və IP ünvanımız (həm də mövqe məlumatını verir) da daxildir. Təəssüf ki, heç bir axtarış sistemində cari olaraq gizlilik qorunmur. Yəni, bir çoxu cookie-lər və axtarış tarixini, internet məlumatları və digər məlumatları saxlayır və paylaşır. Lakin Google, Firefox və Safari-nin özəl və ya 'incognito' (gizli) axtarış rejimi seçimi var ki, axtarış sistemini bağladıqdan sonra, axtarış tarixi, cookie-lər, müvəqqəti fayllar və sairi avtomatik olaraq silinir. Özünüz də yoxlaya bilərsiniz: Gizli Axtarışı Firefox və ya Safari-də qoşmaq üçün: 5. Özünüzə sual edin: Bu qədər applikasiya sizə həqiqətən lazımdırmı? Telefonunuzdakı tətbiqetmə proqramlarının sayını bilirsinizmi? Ürəyinizdə təxmini bir rəqəm tutun sonra telefonunuzu əlinizə alıb sayın. Gözlədiyinizdən çox çıxdımı? Hansıları silmək barədə qərar vermək çətin ola bilər, amma bu sualları oxumaq bəlkə də dadınıza çatar: Ola bilsin ki, indi bəzilərini silməyə əliniz gələr."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43016235", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43018244", "doc1": "আইনত আবায়া পরা মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক সৌদি আরবে মেয়েরা পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখা যে ঢিলেঢালা আচ্ছাদন ব্যবহার করে, তাকে আবায়া বলে। সেখানে আবায়া না পরে বাইরে যেতে দেখা যায় কম মহিলাকেই। সেখানে এটি পরা আইনত বাধ্যতামূলক। কিন্তু সৌদি আরবের 'কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস' বা সবচেয়ে বয়েজ্যোষ্ঠ ধর্মীয় চিন্তাবিদদের কাউন্সিলের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেছেন, এটার দরকার নেই। সৌদি সমাজে যখন নানা রকম সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তখনই একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা এ ধরণের একটি ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করলেন। শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক শুক্রবার বলেন, \"মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলাই 'আবায়া' পরেন না। কাজেই আমাদেরও উচিৎ হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা।\" সৌদি আরবে এই প্রথম এরকম উচ্চ পদের কোন ধর্মীয় নেতার মুখে এরকম কথা শোনা গেল। আরও পড়ুন: সাগর-রুনী হত্যা: গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ এবার কেন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি গত মাস থেকে মেয়েদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে প্রতিক্রিয়া তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতোমধ্যে অনলাইনে তীব্র বিতর্ক এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সমর্থনে কথা বলছেন। বিরোধিতাও করছেন অনেকে। টুইটারে মাশারি ঘামদি নামে একজন লিখেছেন, \"আবায়া আমাদের অঞ্চলের একটা ঐতিহ্য। এটি োন ধর্মীয় ব্যাপার নয়।\" তবে আরেকজন তীব্র বিরোধিতা করে লিখেছেন, \"যদি একশো ফতোয়াও জারি করা হয় তারপরও আমি আামার আবায়া ছাড়বো না। মরলেও না। হে মেয়েরা, তোমরা এই ফতোয়ায় কান দিও না।\" সৌদি আরবে মেয়েরা যখন আবায়া না পরে বাইরে যায়, তখন অনেক সময় ধর্মীয় পুলিশ তাদের এসে ভর্ৎসনা করে। ২০১৬ সালে রিয়াদের রাস্তায় এক মহিলা তার আবায়া খুলে ফেলার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সৌদি আরবে মেয়েদের কেবলমাত্র কালো রঙের আবায়ার পরিবর্তে আর বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের আবায়া পরতে দেখা যায়। লেবানীজ শিল্পী হিবা তাওয়াজি গান গাইছেন সৌদি রাজধানী রিয়াদের এক কনসার্টে লম্বা স্কার্ট বা জিন্সের সঙ্গে খোলা আবায়া পরাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক তরুণীদের মধ্যে। সৌদি আরবে গত কিছুদিন ধরেই পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। গত বছর সেখানে বাণিজ্যিক সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এ বছরের মার্চে সেখানে প্রথম সিনেমা হল খুলবে। গত ডিসেম্বরে সেখানে প্রথম কোন গানের কনসার্টে মহিলা সঙ্গীত শিল্পীকে গান গাইতে দেখা গেছে। সৌদি আরবে স্টেডিয়ামে গিয়ে মেয়েদের খেলার দেখারও অনুমতি দেয়া হয়েছে।", "doc2": "Qohum olmadıqları kişilər tərəfindən görünə biləcəkləri bir yerdə əba geyinməyən səudiyyəli qadınlar din polisi tərəfindən təqib oluna bilər Böyük Üləma Şurasının üzvü Şeyx Abdullah əl-Mutləq qadınların sadə geyinməli olduqlarını, lakin bunun onların uzun əba geyinməyə məcbur olduqları mənasını daşımadığını deyib. Səudiyyə Ərəbistanında hazırki qanunlar hər bir qadından əba geyinməyi tələb edir. Şeyx Mutləqın bu məsələyə müdaxiləsi ölkə rəhbərliyinin müasirləşmə və qadınlarla bağlı məhdudiyyətlərin yüngülləşdirilməsinə yönəlmiş layihələri fonunda baş verib. \"Müsəlman dünyasındaki dindar müsəlman qadınların 90 faizindən çoxu əba geyinmir. Ona görə biz də insanları əba geyinməyə məcbur etməməliyik\", Şeyx Mutləq cümə günü deyib. Həmçinin oxuyun: Bu, ölkədə mühüm din xadiminin buna bənzər verdiyi ilk bəyanatdır və gələcəkdə Səudiyyə Ərəbistanının qanunlarına təsiri ola bilər. Buna necə reaksiya olub? Şeyx Mutləqin müdaxiləsi sosial şəbəkələrdə qızğın müzakirəyə səbəb olub. Bəziləri onun mövqeyini dəstəkləyib, digərləri isə ona qarşı çıxıb. \"Əba bizim rayonların birində ənənədir və hər kəsə tətbiq olunub. Bu din məsələsi deyil\", Maşari Ğəmdi adlı Twitter istifadəçisi yazıb. \"Hətta yüz fətva da bəyan edilsə, Allaha and içirəm ki, mən əbamı heç vaxt tərk etməyəcəm. Ölsəm belə. Qızlar, fətvalara qulaq asmayın...\" @Kooshe90 adlı istifadəçi yazıb. Keçən ay isə bəzi şəhərlərdə qadınlara stadionlarda futbol matçlarını izləmək icazəsi verilib Qohum olmadıqları kişilər tərəfindən görünə biləcəkləri bir yerdə əba geyinməyən qadınlar din polisi tərəfindən təqib oluna bilər. 2016-cı ildə bir səudiyyəli qadın ölkənin paytaxtı Riyadın əsas küçələrindən birində əbasını çıxardığına görə saxlanmışdı, Reuters xəbər agentliyi yazıb. Lakin son illər qadınlar ənənəvi qara əbalardan fərqli olaraq getdikcə rəngbarəng əbalar və ya cins şalvar və uzun donların üstündən açıq əbalar geyinməyə başlayıblar, Reuters yazıb Səudiyyə Ərəbistanının vəliəhd şahzadəsi Məhəmməd bin Salman hökumətin Vision 2030 layihəsilə ölkəni müasirləşdirməyi vəd edib. Layihənin hədəflərindən biri də sərt gender ayrılığı qaydalarına riayət etməli olan səudiyyəli qadınların hüquqlarını artırmaqdır. 2017-ci ilin sentyabr ayında qadınların maşın sürmək qadağası aradan qaldırılıb və eyni dövrdə qadınlara Səudiyyə Ərəbistanın Milli Gün şənliklərində ilk dəfə iştirak etmələrinə icazə verilib. Keçən ay isə bəzi şəhərlərdə qadınlara stadionlarda futbol matçlarını izləmək icazəsi verilib. Livanlı ifaçı Hiba Tavacı Riyadda keçirilən ilk qadın konsertində iştirak edib Keçən il Səudiyyə Ərəbistanı 30 ildən artıq qadağan edilmiş kinoteatrların bir daha açılmasına icazə verib. İlk kinoteatrların mart ayında açılacağı gözlənilir. Dekabr ayında ölkədə bir qadın ifaçı tərəfindən keçirilən ilk konsertə tamaşa edən qadınlar müğənnini ayağa qalxaraq alqışlamışdılar. İndiyədək buna bənzər idman və əyləncə yerlərinə yalnız kişilərin girişinə icazə verilirdi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43021591", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42871321", "doc1": "সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ২০১৬ সালে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও প্রায় ১২,০০০ শিশু। ফাইল ফটো আর শিরোনামে না আসা শিশু ধর্ষণের সংখ্যাটা আরও বহুগুণ বেশি। ২০১৬ সালে - একবছরেই ভারতে ধর্ষিত হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু বা কিশোরী। ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যানে তেমনটাই উঠে এসেছে। তবে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার শিকার যে সেখানে শুধু কন্যা শিশুরাই হচ্ছে তা নয়। প্রায় ১০ বছর আগে প্রকাশিত একমাত্র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন হেনস্থা হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি ছেলেশিশু বা কিশোর। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন, ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি মোট ঘটনার কিছু অংশমাত্র। শিশুদের অধিকার নিয়ে সারা দেশ জুড়েই কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ক্রাই'। তারই পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর অতীন্দ্রনাথ দাস ব্যাখ্যা করছিলেন, \"শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে গত প্রায় এক দশক ধরে। কিন্তু গত তিনবছরে সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এরকম ঘটনা আগে হত না। কিন্তু হঠাৎ করে সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।\" সাম্প্রতিক সময়ে এমন বেশ কিছু শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে, যা রীতিমতো শিহরন জাগানো। ২০১৫ সালে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকে আট বছরের একটি কন্যা শিশুকে অপহরণ করার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি-র ফুটেজে। পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, তার মুখে প্লাস্টিক গুঁজে দিয়ে চুপ করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ ছাড়াও প্রায় ১২ হাজার কন্যা-শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন চলেছে, আর যৌন হেনস্থা ঘটেছে নয়শোরও বেশী কন্যা-শিশুর সঙ্গে। কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'দীক্ষা'র প্রধান পারমিতা ব্যানার্জী বলছিলেন, \"যৌন নির্যাতনটা আগেও চলত, এখনও চলে। কোনও না কোনোভাবে যৌন হেনস্থা হয় নি, এমনভাবে বোধহয় ভারতের কোনও মেয়েই বড় হয় না - সেটা ভিড় বাসে শরীরে হাত দেওয়া থেকে শুরু করে আরও গুরুতর কিছু - যাই হোক না কেন। আগে আমরা মেয়েরা মুখ খুলতাম না - ভয়ে, লজ্জায়, কিন্তু এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে একটু একটু করে।\" নারী আন্দোলনের কর্মী অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষও বলছিলেন, \"অ্যাবসলিউট নাম্বারে যৌন নির্যাতন বেড়েছে তো বটেই, কিন্তু এখন বিষয়গুলো সামনে আসছে আগের থেকে অনেক বেশী। শিশু সুরক্ষা সম্বন্ধে অভিভাবক থেকে শুরু করে পুলিশ - সকলেরই সচেতনতা বেড়েছে। এখন কোনও শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হলে প্রথমেই রিঅ্যাক্ট করে এই বলে যে 'একটা বাচ্চার সঙ্গে এরকম করে পার পেয়ে যাবে!' এই ধারণাটা বদল হয়েছে বলেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে অনেকে সাহস পাচ্ছেন এখন।\" আরও পড়তে পারেন: যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার জবাবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আট মাসের একটি শিশুকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। (ফাইল ছবি) যৌন নির্যাতনের শিকার অর্ধেকই ছেলেশিশু সমাজকর্মীরা বলছেন একটা বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোররাও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে ভারতে - যার একমাত্র সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল ২০০৭ সালে। কথা বলেছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাজকের প্রধান দীপ পুরকায়স্থর সঙ্গে। \"ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতনের পরিসংখ্যান খুব একটা পাওয়া যায় না। একমাত্র ওই ২০০৭ সালের সংখ্যাটা ছাড়া। আমরা যারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, তাদের একটা ধারণা ছিলই যে কী সংখ্যায় ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতন চলে। আর সরকারী তথ্যে দেখা যাচ্ছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হয়, তার প্রায় অর্ধেক পুত্র-শিশু বা কিশোর। তার পরে আর কোনও তথ্য আমাদের হাতে নেই,\" বলছিলেন মি. পুরকায়স্থ। শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ কী শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে একাধিক। কেউ বলছেন ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়া। কারও মতে বিকৃত যৌন চাহিদা মেটানোর সব থেকে সহজ টার্গেট হয়ে উঠছে শিশুরা, কারণ তারা অরক্ষিত আর তাদের ওপরে কী ঘটছে, সেটা তারা বুঝতে অক্ষম। এইসব নানা কারণেই শিশু ধর্ষন বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কলকাতায় যৌন হেনস্থার ব্যাপারে শিশুদের সচেতন করে তোলার কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দীক্ষা। তার প্রধান পারমিতা ব্যানার্জীর কথায়, \"অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে পিডোফিলিয়া নিশ্চিতভাবেই মানসিক বিকৃতি। কিন্তু বাসে-ট্রামে মেয়েদের শরীর ছোঁয়ার মতো যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো কিন্তু ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য। এর বাইরে একটা কারণ হল ছোটবেলায় যেসব পুরুষ হেনস্থার শিকার হয়েছেন কোনও না কোনও ভাবে, তাদের একটা অংশও কিন্তু পরবর্তীতে নিজেরা হেনস্থা করছেন মেয়েদের।\" ক্রমবর্ধমান হারে শিশুদের যৌন লালসার শিকার বানানোর পিছনে রয়েছে কুসংস্কারও। অন্তত দেড়শো বছর আগের ছাপা বটতলার বই নামে পরিচিত তথাকথিত অশ্লীল সাহিত্যেও এই কুসংস্কারের উল্লেখ আছে যেখানে বলা হয়, কন্যা-শিশু অথবা কুমারী নারীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে নানা যৌন রোগ নিরাময় হয়। নিউ লাইট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান উর্মী বসু বলেন,\"আমরা যৌন কর্মী এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের সঙ্গে যারা আছেন, তাঁদের অনেকেরই বয়স ৬০/ ৬৫ এমনকি ৭০। তাঁদের কাছ থেকেই জেনেছি, বহু মানুষ এটা মনে করেন যে কুমারী নারী বা শিশুদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে তাদের নিজেদের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা যৌনরোগ নিরাময় হয়। ভারতের বহু প্রদেশে এই ধারণা প্রচলিত রয়েছে। \" সমাজকর্মী পারমিতা ব্যানার্জীও এইডস আক্রান্তদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। শিশুদের ওপরে ক্ষমতা প্রদর্শন সহজ, তেমনই যৌন লালসা মেটানোর পরে ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা আরও সহজ। সমাজকর্মীরা বলছেন ভারতে বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোরও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে স্কুল ও পরিবার থেকে শিক্ষা অনেক স্কুলেই আজকাল ছোট-বয়স থেকেই মেয়েশিশুদের শেখানো হচ্ছে কোন স্পর্শ বা আদর করাটা ভাল, কোনটা খারাপ। কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড। আর কেউ খারাপভাবে ছুঁলে যে সেটা মাকে বলতেই হবে, সেটাও বোঝানো হচ্ছে শিশুদের। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলছিলেন, \"ভালো স্পর্শ আর খারাপ স্পর্শ নিয়ে পাঠ দেওয়াটা এখনও মূলত অভিজাত স্কুলগুলিতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সরকারী স্কুলেও যাতে এগুলো শেখানো হয়, তার জন্য আমরা স্কুল সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিষয়টা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে কথা দিয়েছেন।\" \"শুধু মেয়েদের শেখালে তো চলবে না, ছোট ছেলে বা সদ্য-কিশোরদেরও এই পাঠটা দেওয়া দরকার যে একটা মেয়ে মানেই শুধু শরীর নয় - সে সব অর্থেই ছেলেদের সমান। অথচ উল্টোটাই মনে করে বহু ছোট ছোট ছেলেরাও। বদলাতে হবে এই মানসিকতা,\" বলছিলেন শাশ্বতী ঘোষ। হাজার হাজার মামলা, বিচার সময় মতো শেষ হয় না শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা বেড়ে চলার একটা কারণ হল- নির্যাতনকারীরা অনেক সময়েই অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। যেটা দেখে ওইরকম ঘটনা ঘটাতে উৎসাহিত হয় আরও অনেকে। পরিসংখ্যানও বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশী শিশু ধর্ষণের মামলা ভারতের নানা আদালতে চলছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার হারও মাত্র ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন বা হেনস্থার ঘটনা ধরা হয় নি। আরও যা পড়তে পারেন: সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ পরিসংখ্যান বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। কেন শিশু ধর্ষণের হাজার হাজার মামলা জমে আছে? কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ভারতী মুৎসুদ্দি বিবিসি বাংলাকে বলেন, \"এইধরনের মামলা তো শুধু নয়, ভারতের আদালতে লক্ষ লক্ষ মামলা ঝুলে আছে। একটা সাধারণ ব্যাখ্যা হল বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল।\"। মিসেস মুৎসুদ্দি আরও বলছিলেন, \" শিশুদের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে যে 'পকসো' আইন হয়েছে, সেখানে কিন্তু যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেমন এই মামলার বিচার পৃথক আদালতে এক বছরের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু কোনও জায়গাতেই আলাদা কোর্ট হয় নি, একবছরে মামলা শেষ করাও হয় না। পৃথক পুলিশ টীম তৈরি করার কথা বলা হয়েছে আইনে, সেটাও মানা হয় না। তাই অন্য মামলার সঙ্গেই শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের মামলা একই আদালতে চলতে থাকে আর বছরের পর বছর ঝুলে থাকে।\" আবার এই বিতর্কও রয়েছে যে শিশুদের ধর্ষক বা নির্যাতনকারীদের কতটা শাস্তি দেওয়া হবে, তা নিয়ে। কেউ মনে করেন তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া উচিত। কিন্তু এই প্রশ্নও রয়েছে যে দিল্লির বাসে গণ-ধর্ষিতা ও খুন হওয়া নির্ভয়ার ধর্ষকদেরও তো চরম শাস্তি দিয়েছে আদালত - তারপরেও কি ধর্ষণ কমেছে? নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলছিলেন, \"আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী নই। যদি ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি হওয়াই উচিত। তবে তখন ধর্ষক ভাববে, মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে তাকে তো ফাঁসিতে ঝুলতেই হবে।\" মিজ. ঘোষ যে আশঙ্কার কথা বলছিলেন, ভারতে অনেক কন্যা-শিশুর সঙ্গে বাস্তবিকই সেটাই ঘটছে - ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করা হচ্ছে - যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে।", "doc2": "Hindistanda zorlama və cinsi zorakılıq hallarına qarşı qəzəb artır. Məlumatlara görə, körpə qızın vəziyyəti kritikdir və xəstəxanadadır. O buraya bazar günü gətirilib. Polis mediaya bildirib ki, zorlamada təqsirləndirilən 28 yaşlı kişini həbs ediblər. Onun fəhlə işlədiyi bildirilir. Dehli Qadınlar komissiyasının rəhbəri Swati Maliwal bazar ertəsi körpəni ziyarət edib və onun zədələrini \"dəhşətli\" adlandırıb. Hindu kraliçası haqqında filmin premyerası Hindistanda iğtişaşlara səbəb olub Uşağın doğduğu körpənin atası dayısı deyil - DNT testi Hindistan: 10 yaşlı təcavüz qurbanı abort etdirmək üçün icazə istəyir Hadisə bazar günü baş verib, amma yerli media bu barədə bazar ertəsi xəbər verdikdən sonra ictimaiyyətə məlum olub. Swati Maliwal Twitter-də yazıb ki, qızcığaz üç saatlıq əməliyyat keçməli olub: \"Xəstəxananın reanimasiya şöbəsində onun ürəkparçalayıcı iniltiləri eşidilirdi. Daxili orqanlarında dəhşətli zədələr var\". O, qəzəbini daha bir tvitdə ifadə edib: \"Nə etməli? 8 aylıq körpə qəddarlıqla zorlandığı bir vaxtda Dehli bu gün necə sakit yata bilər? Bizim doğrudanmı dərimiz bu qədər qalınlaşıb, yoxsa bunu sadəcə artıq taleyimiz olaraq qəbul etmişik?\" O, Twitter-də Baş Nazir Narendra Modiyə birbaşa müracət də ünvanlayaraq yazıb ki, ölkədə qız uşaqlarını qorumaq üçün daha ciddi qanunlara və polis resurslarına ehtiyac var. 2012-ci ildə Dehlidə, avtobusda 23 yaşlı tələbə qızın bir qrup kişi tərəfindən zorlanaraq öldürülməsindən sonra Hindistanda cinsi təcavüzlə bağlı tədbirlər görülüməsinə çağırışlar artıb. Ancaq ölkə boyunca qadınlara və uşaqlara qarşı cinsi təcavüz hallarına dair məlumatlar artmaqdadır. Dehlidən BBC müxbiri Geeta Pandey xəbər verir ki, belə cinayətlər yayğındır və onların sayı sürətlə artmaqdadır. Milli Cinayətlər Bürosunun verdiyi məlumata görə, 2016-cı ildə uşaqların zorlanması halları Hindistanda 2015-ci ilə nisbətən 82 faiz artıb. Bir neçə il əvvəl 11 aylıq körpə anasının yanında yatarkən qonşusu onu oğurlamış və iki saat ərzində qəddarlıqla zorlamışdı. Hindistan paytaxtı Dehlidə 8 aylıq körpə qız, iddialara görə, əmisi oğlu tərəfindən zorlanıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48375780", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-38575096", "doc1": "ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো গত বছর বলেছিলেন, অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৪৮ করার বিষয়টি ২০২৬ সাল থেকে এগিয়ে ২০২২ সালে আনা হতে পারে। ২০২২ সালে যদি ৪৮টি দেশ অংশ নিতো তাহলে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ কাতারের পাশাপাশি অন্য দেশেও আয়োজন করতে হতো। কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা না বাড়ানোর বিষয়টি ফিফার এক দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফিফা বলেছে, ৪৮ টি দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন কাতার করতে পারে কিনা সেটি বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেছে। ফিফা মনে করছে, এখন এর বিষয়টি নিয়ে এগুনো ঠিক হবেনা। কারণ এটি বাস্তবায়ন করার মতো যথেষ্ট সময় নেই। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়টিকে কাতার খোলা মনে দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, \"টুর্নামেন্ট-এর এখন সাড়ে তিনবছর বাকি আছে। ৩২ টি দেশের অংশগ্রহণে এ যাবত-কালের সবচেয়ে ভালো বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার বদ্ধপরিকর বদ্ধপরিকর।\" ২০২২ সালের বিশ্বকাপ সমগ্র আরব বিশ্বকে গৌরবান্বিত করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে ইউরোপিয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতার বিশ্বকাপে ১৬টি বাড়তি দলের অংশ নিলে বহু সমস্যা তৈরি হবে এবং বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব কাতারের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। রাশিয়ার অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টর সময় এ ছবি তোলা হয়েছিল। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি না করার বিষয়টি কাতারের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ, বিশ্বকাপের আসর কাতারকে ভাগাভাগি করতে হবে না। গত প্রায় দেড় বছর যাবত কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। সুতরাং কাতারের পাশাপাশি এসব দেশে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ আয়োজন এতো সহজ ছিল না। ফলে বাকি ছিল কুয়েত এবং ওমান। কিন্তু এ দুটো দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের অবকাঠামো নেই। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফিফার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা হবে ৪৮টি। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা সম্মিলিতভাবে এ আয়োজন করবে। ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপ ফুটবলের বিস্তার ঘটানোর পক্ষে। তিনি মনে করেন, এই টুর্নামেন্ট-এ আরো দেশের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। তিনি মনে করেন, ফুটবল শুধু ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিষয় নয়। এটি বৈশ্বিক বিষয়। দেশের সংখ্যা ৪৮ টি হলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ থেকে ৮০ তে উন্নীত হবে। তবে টুর্নামেন্ট ৩২ দিনের মধ্যেই শেষ হবে।", "doc2": "FİFA-nın rəsmi twitter səhifəsində verilən məlumata görə turnir iştirakçıları 16 qrupa bölünəcək və hər qrupda 3 komanda olacaq. Dünya çempionatı çərçivəsində keçirilən oyunların sayı 64-dən 80-ə yüksələcək. Turnir 32 gün davam edəcək. FİFA-nın hesablamalarına əsasən yeni qərar hər turnirə görə 20% (6,5 milyard dollar) artıq gəlirin əldə olunmasına imkan yaradacaq və bu da çempionatın gəlirinin artmasına köməklik edəcək. FİFA prezidenti Gianni İnfantino hələ ötən ilin payızında dünya çempionatında iştirak edən komandaların sayının artırılması planları barədə məlumat vermişdi. \"Bu komandalar üçün ağır olmayacaq. Təqvimdə hecbir dəyişiklik olmayacağına görə bu klublara da mənfi təsir göstərməyəcək. Əksinə bu futbolun inkişafına böyük təsir göstərəcək. Çünki dünya birinciliyi uğrunda final mərhələsində bir neçə komanda iştirak edəcək \", - deyə İnfantino qeyd edib. Hazırkı qaydalara görə dünya çempionatında beynəlxalq seçim turlarında uğurla çıxış edən 32 komanda çıxış edə bilər. Final mərhələsində isə komandalar hər birində 4 komanda olmaqla 8 qrupa bölünür."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50009652", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50707797", "doc1": "মেসোপটেমিয়ান সমতল ভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলের একটি নৃতাত্বিক গোষ্ঠী কুর্দিরা সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন এই অভিযানের ফলে স্থানীয় কুর্দি নাগরিকরা জাতিগত সহিংসতার শিকার হতে পারেন এবং এর ফলে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীরও পুনরুত্থান ঘটতে পারে। কিন্তু এই কুর্দিরা আসলে কারা? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান কেন সীমান্তে 'সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পথ বন্ধ' করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন? কুর্দিরা কোথা থেকে এলো? মেসোপটেমিয়ান সমতল ভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলের একটি নৃতাত্বিক গোষ্ঠী এই কুর্দিরা। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, উত্তর ইরাক, উত্তর-পশ্চিম ইরান এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আর্মেনিয়া অঞ্চলে তারা ছড়িয়ে রয়েছে। আড়াই থেকে সাড়ে তিন কোটি কুর্দি এসব পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে। মধ্যপ্রাচ্যের চতুর্থ বৃহত্তম নৃতাত্বিক গোষ্ঠী তারা। কিন্তু এই কুর্দিরা কখনো স্থায়ী একটি রাষ্ট্র পায়নি। আরো পড়ুন: সিরিয়ায় ঢুকে পড়েছে তুর্কি সৈন্য, বিমান হামলা কুর্দিদের ত্যাগ করলেন ট্রাম্প, এরদোয়ানের টেলিফোন কুর্দিদের উপর যেভাবে নিষ্ঠুরতা চালাতেন সাদ্দাম হোসেন কুর্দিরা কখনো স্থায়ী একটি রাষ্ট্র পায়নি বর্তমানে তাদের একটি আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সম্প্রদায় রয়েছে। জাতিগত, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তারা একরকম হলেও তাদের ভাষার কোনো স্বতন্ত্র বাচনভঙ্গী নেই। কুর্দিদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম এবং উপগোষ্ঠীর উপস্থিতি থাকলেও তাদের সিংহভাগ সুন্নি মুসলিম। কুর্দিদের কোনো রাষ্ট্র নেই কেন? বিংশ শতকের শুরুর দিকে কুর্দিদের অনেকে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করে - যেটি কুর্দিস্তান হিসেবে পরিচিত হবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর যুদ্ধ জয়ী পশ্চিমা জোট ১৯২০ সালের সেভর্ চুক্তি অনুযায়ী কুর্দিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের ব্যবস্থা নেয়। তবে তিন বছর পরই ঐ সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায় যখন লুসান চুক্তি অনুসারে আধুনিক তুরস্কের সীমানা নির্ধারিত হয় এবং কুর্দিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয় না। কুর্দিরা তখন নিজ নিজ দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করতে বাধ্য হয়। পরের ৮০ বছরে নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য কুর্দিদের নেয়া প্রত্যেকটি প্রচেষ্টাকেই নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়। পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওচালানকে ১৯৯৯ সাল থেকে কারাবন্দী করে রেখেছে তুরস্ক তুরস্ক কেন কুর্দিদের হুমকি মনে করে? তুরস্ক এবং সেদেশের কুর্দিদের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাসটা অনেক পুরনো। তুরস্কের জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ ভাগ জাতিগতভাবে কুর্দি। কয়েক প্রজন্ম ধরে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ কুর্দিদের বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণ করেছে। ১৯২০ এবং ১৯৩০'এর দশকে কুর্দিদের বিক্ষোভের উত্থানের সময় অনেক কুর্দি পুনর্বাসিত হয়, কুর্দি নাম এবং পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, কুর্দি ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, এমনকি কুর্দিদের যে একটি আলাদা জাতিগত পরিচয় আছে সেটিও অস্বীকার করা হয়। কুর্দিদের সেসময় বলা হতো 'পাহাড়ি তুর্কি।' ১৯৭৮ সালে আবদুল্লাহ ওচালান পিকেকে গঠন করেন, যাদের প্রধান দাবি ছিল তুরস্কের মধ্যে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠন। ছয় বছর পর সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে ঐ সংগঠনটি। সেসময় থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ কুর্দি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পিকেকে ১৯৮৪ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করার পর থেকে ৪০ হাজারের বেশি কুর্দি নিহত হয়েছে ১৯৯০'এর দশকে পিকেকে স্বাধীনতার দাবি বাদ দিয়ে সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন চালায়। তবে সেসময়ও সশস্ত্র সংগ্রাম অব্যাহত রাখে তারা। ২০১৩ সালে গোপন আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় আসে তারা। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতি অকার্যকর হয়ে পড়ে যখন সিরিয়ার সীমান্তের কাছে কুর্দি অধ্যূষিত শহর সুরুকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৩ জন তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়। ইসলামিক স্টেটকে ঐ বোমা হামলার জন্য দায়ী মনে করা হয়। সেসময় পিকেকে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হামলায় সহায়তার অভিযোগ আনে এবং তুরস্কের সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় তুরস্কের সরকার পিকেকে এবং আইএস'এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে, যেটিকে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমন্বিত যুদ্ধ' বলে দাবি করা হয়। সেসময় থেকে হাজার হাজার মানুষ - যাদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন - দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে হওয়া সংঘাতে নিহত হয়েছেন। অগাস্ট ২০১৬ থেকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সেনা উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। সেসময় সীমান্তের ওপারে সেনাসদস্য ও ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে ঐ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান শহর জারাব্লুস দখল করে তুর্কি বাহিনী। এর ফলে কুর্দি বিদ্রোহী বাহিনী ওয়াইপিজি'র নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স ঐ অঞ্চলের দখল নিতে ব্যর্থ হয় এবং আফ্রিন শহরের কুর্দি ঘাঁটির সাথে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালে তুরস্কের বাহিনী এবং তাদের সাথে একজোট থাকা সিরিয়ান বিদ্রোহীরা আফ্রিন থেকে ওয়াইপিজি'র যোদ্ধাদের উৎখাত করে। সেসময় অনেক বেসামরিক নাগরিক মারা যায় এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়। তুরস্কের সরকারের ভাষ্যমতে, ওয়াইপিজি এবং পিওয়াইডি সাবেক পিকেকে'র সাথে সম্পৃক্ত সংস্থা এবং তারা সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তুরস্ক সরকার দাবি করে ঐ সংগঠনগুলো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে এবং তাদের নির্মূল করা আবশ্যক। তুরস্কের সেনা এবং পিকেকে'র মধ্যে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের শহর সিজর (মার্চ ২০১৬) সিরিয়ার কুর্দিরা কী চায়? সিরিয়ার জনসংখ্যার ৭ থেকে ১০ ভাগ কুর্দি। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার আগে তাদের অধিকাংশের বাস ছিল দামেস্ক এবং আলোপ্পোতে। এছাড়াও উত্তর-পূর্বের শহর কামিশলি, কোবানে এবং আফ্রিন শহরেও তাদের কিছু অংশ বসবাস করতো। সিরিয়ার কুর্দিরাও দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচারিত এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ১৯৬০'এর দশক থেকে প্রায় ৩ লাখ কুর্দিকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি এবং তাদের জমি অধিগ্রহণ করে ঐসব কুর্দি অঞ্চলকে 'আরব অধ্যূষিত' অঞ্চলে পরিণত করার জন্য আরবদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে হওয়া অভ্যুত্থান যখন গৃহযুদ্ধে পরিণত হয় তখন প্রধান কুর্দি দলগুলো কোনো পক্ষ নেয়নি। ২০১২'র মাঝামাঝি সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য সেসব কুর্দি অধ্যূষিত অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়, যার ফলে কুর্দি দলগুলো সেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৪'র জানুয়ারিতে প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি (ওয়াইপিডি) সহ অন্যান্য কুর্দি দলগুলো আফ্রিন, কোবানে এবং জাযিরা'র তিনটি বিভক্ত প্রদেশে 'স্বায়ত্বশাসিত প্রশাসন' প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়। মার্চ ২০১৬'তে তারা আইএস'এর দখলে থাকা কয়েকটি আরব এবং তুর্কি এলাকা নিয়ে 'যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ঐ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়ার সরকার, সিরিয়ার বিরোধী দল, তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র। আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিল ওয়াইপিজি পিওয়াইডি'র দাবি, তারা স্বাধীনতা চায় না, কিন্তু সিরিয়ায় চলমান সংঘাত নিরসনের উদ্দেশ্যে নেয়া যে কোনো রাজনৈতিক সমঝোতায় কুর্দিদের অধিকার এবং স্বায়ত্বশাসনের বিষয়টি যেন গুরুত্ব পায় তা নিশ্চিত করতে চায়। প্রেসিডেন্ট আসাদ আলোচনা বা যুদ্ধ, যে কোনোভাবে সিরিয়ার 'প্রতি ইঞ্চি' জায়গা পুনর্দখলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কুর্দিদের স্বায়ত্বশাসনের দাবিও নাকচ করে দিয়েছে তার সরকার। ইরাকের কুর্দিরা কি স্বাধীনতা পাবে? ইরাকের জনসংখ্যার আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ ভাগ কুর্দি। ঐতিহাসিকভাবে, আশেপাশের যে কোনো রাষ্ট্রে বসবাসরত কুর্দিদের চেয়ে বেশি নাগরিক অধিকার এবং সুবিধা ভোগ করেছে তারা। কিন্তু তারা অন্যদের চেয়ে বেশি নিষ্ঠুর অত্যাচারেরও শিকার হয়েছে। ১৯৪৬ সালে ইরাকে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে লড়াই করার জন্য মুস্তাফা বাজরানি কুর্দিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (কেডিপি) গঠন করেন। তবে তারা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে ১৯৬১ সাল থেকে। ৭০'এর দশকের শেষদিকে কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে আরবদের পুনর্বাসন শুরু করে সরকার। বিশেষ করে তেল সমৃদ্ধ কিরকুক অঞ্চলের কুর্দিদের সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন শুরু করা হয়। ৮০'র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এই নীতি আরো বিস্তার লাভ করে, সেসময় কুর্দিরা ইরানকে সমর্থন করে। ১৯৮৮ সালে কুর্দিদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবশত অভিযান শুরু করেন সাদ্দাম হুসেইন, যার অংশ হিসেবে হালাবজা অঞ্চলে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়। ১৯৭০ সালে ইরাকের সরকার ও কেডিপি'র মধ্যে শান্তিচুক্তি হলেও তা অকার্যকর হয়ে পড়ে চার বছরের মধ্যেই ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে যখন ইরাকের পরাজয় হয়, কুর্দি বিদ্রোহীরা তখন বাগদাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে। ঐ বিদ্রোহ দমনে ইরাকের কর্তৃপক্ষের নেয়া সহিংস পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোট উত্তরে 'নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করে যার ফলে কুর্দিরা সেসব অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। দুই পক্ষের ক্ষমতা ভাগাভাগি সংক্রান্ত একটি চুক্তি করা হলেও ১৯৯৪ সালে ইরাকের কুর্দি দলগুলো চার বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যেই আক্রমণে সাদ্দাম হুসেইন ক্ষমতাচ্যুত হন, ঐ অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে কুর্দিরা। তার দু'বছর পর উত্তর ইরাকের তিনটি প্রদেশে কুর্দিস্তান রিজিওনাল গভর্নমেন্ট (কেআরজি) প্রতিষ্ঠা করে সেসব এলাকার জোট সরকারের অংশ হয়। সেপ্টেম্বর ২০১৭'তে কুর্দিস্তান অঞ্চলে এবং ২০১৪ সালে কুর্দি মিলিশিয়াদের দখল করা বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর মানুষ একটি গণভোটে অংশ নেয়। সেসময় ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার এই গণভোটকে অবৈধ দাবি করে এর বিরোধিতা করে। গণভোটে অংশ নেয়া ৩৩ লাখ মানুষের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। বাগদাদ কর্তৃপক্ষ ঐ গণভোটের ফল নাকচ করার প্রস্তাব করে। পরের মাসে ইরাকের সরকার সমর্থক বাহিনী কুর্দিদের দখলে থাকা বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর দখল নেয়। কিরকুক অঞ্চল এবং সেখানকার তেল থেকে পাওয়া আয় শেষ হয়ে যাওয়ায় কুর্দিদের নিজেদের রাষ্ট্র গঠনের আশা বড় ধাক্কা খায়। ১৯৯১ সালের বিদ্রোহ দমনের পর ইরান ও তুরস্কে ১৫ লক্ষের মত কুর্দি শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় আইএস'এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে কুর্দিরা কেন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল? ২০১৩'র মাঝামাঝি সময়ে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের তিনটি কুর্দি ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। ঐ অঞ্চলে তাদের চালানো একের পর এক হামলা ২০১৪'র মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনীগুলো প্রতিরোধ করতে থাকে। জুন ২০১৪'তে উত্তর ইরাকে আইএস'এর আগ্রাসনের ফলে ইরাকের কুর্দিরাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ইরাকের স্বায়ত্বশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের সরকার এমন অঞ্চলে তাদের পেশমার্গা বাহিনী পাঠায় যেখানে ইরাকের সৈন্যদের অবস্থান ছিল না। ২০১৪ সালে আইএস আচমকা আগ্রাসন শুরু করলে বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে পেশমার্গা বাহিনী সরে আসে। ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের বসবাস ছিল, এমন বেশ কয়েকটি অঞ্চলের পতন হয় - যার মধ্যে একটি হলো সিঞ্জার, যেখানে হাজার হাজার ইয়াজিদিকে আইএস আটক করে রাখে এবং হত্যা করে। ঐ আগ্রাসন থামাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী উত্তর ইরাকে বিমান হামলা চালায় এবং পেশমার্গাদের সাহায্য করতে সামরিক উপদেষ্টা পাঠায়। ২০১৭ সালে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গণভোট হয় তিন দশক ধরে তুরস্কে কুর্দি স্বায়ত্বশাসনের লক্ষ্যে লড়াই করা ওয়াইপিজি এবং পিকেকে'ও তাদের সহায়তায় যোগ দেয়। সেপ্টেম্বর ২০১৪'তে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুর্দি শহর কোবানে'তে হামলা চালায় আইএস, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। তবে ঐ সংঘাত তুরস্কের সীমান্তের অনেক কাছে হলেও তুরস্ক আইএস ঘাঁটিতে হামলা করা বা তুরস্কের কুর্দিদের সীমানা পার করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেয়া থেকে বিরত থাকে। ২০১৫'র জানুয়ারিতে এক যুদ্ধের পর কুর্দি বাহিনী কোবানের নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখল করে। ঐ যুদ্ধে অন্তত ১৬০০ মানুষ মারা যায়। কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ জোট আইএস এর ঘাঁটি রাকা দখল করে ২০১৭ এর অক্টোবরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী, সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস জোট এবং একাধিক আরব মিলিশিয়া বাহিনীকে কুর্দিরা বিভিন্নভাবে সাহায্য করে সিরিয়া থেকে আইএস'কে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করতে। এখন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় একটি ৩২ কিলোমিটার 'নিরাপদ অঞ্চল' প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে এবং ২০ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে তুরস্ক কুর্দিদের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান শুরু করেছে। এসডিএফ বলছে তারা 'যে কোনো মূল্যে' তাদের এলাকা রক্ষা করবে। আইএস'এর বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধে অর্জিত সুফলও ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে দাবি করছে এসডিএফ। রাশিয়ার মদদপুষ্ট সিরিয়ার সরকারও দেশটির প্রত্যেকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুন:প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে জোর দিচ্ছে।", "doc2": "Aras eşitmə qabiliyyətini itirib və Suriyanın şimalındakı türkiyəpərəst qruplar tərəfindən verilən işgəncələr nəticəsində bağırsaqları zədələnib Lakin insan haqları qrupları və kürdlər ərazinin bəzi adamlar üçün təhlükəsiz olmadığını iddia edirlər. Kürdlər deyirlər ki, Türkiyə ərazidəki hər cür kürd hakimiyyətinin qarşısını almaq; şimal-şərqdəki kürd əhalisini ölkənin digər bölgələrindən olan suriyalı qaçqınlarla əvəz etmək və ərazinin etnik tərkibini köklü şəkildə dəyişmək istəyir. BBC News Ərəbcə \"Təhlükəsiz Zonada\" yerləşən Afrin şəhərinin sakinləri və yaxınlıqdakı Təl Rifət şəhərində sığınacaq tapmış bəzi qaçqınlarla danışıb. Onlar Türkiyə nəzarəti altında \"Təhlükəsiz Zonada\" onlarla hökumət əleyhinə silahlı qrupun həyata keçirdiyi idarəçilik şəraitində necə yaşadıqlarından danışıblar. Ziddiyyətli iddialar 2018-ci ilin mart ayında \"Zeytun budağı\" əməliyyatından bəri Türkiyə qüvvələri kürdlərin çoxluq təşkil etdiyi Afrin şəhəri və ətraf ərazilərə nəzarət edib. Daha əvvəl keçirilmiş 2016-cı ilin \"Fərat Qalxanı\" əməliyyatı nəticəsində Ankara ilə müttəfiq olan qrupların köməyi ilə Cərablus, əl-Bəb və ər-Rai məntəqələri daxil, Hələb şəhərindən şimal-şərqdə yerləşən bir ərazidən İŞİD silahlıları qovulmuş və həmin ərazi nəzarətə götürülmüşdü. Bu iki əməliyyat sayəsində uğurlu bir \"sülh dəhlizi\" qurulduğunu söyləyən Ankara, indi bunu \"Sülh Çeşməsi\" adlanan ən son hərbi əməliyyatında Suriya ilə bütün sərhədi boyunca təkrarlamağa çalışır. Bu, ABŞ qoşunları Suriyanın şimal-şərqində yerləşən bəzi ərazilərdən çəkildikdən bəri baş verib. Lakin insan haqları qrupları bu ərazidə bəzi mülki şəxslərin geniş yayılmış işgəncələrə məruz qaldıqlarını söyləyirlər. \"Fərdlərin edam edilməsi, əmlakın talanması və məcburi köçkünlərin evlərinə qayıtmalarına əngəl törədilməsi Türkiyənin təklif etdiyi \"təhlükəsiz zonaların\" təhlükəsiz olmayacağının sübutudur\", - Human Rights Watch təşkilatının Yaxın Şərq üzrə direktoru Sarah Leah Whitson deyib. \"Əməliyyat nəticəsində təhlükəsiz zonaların qurulacağı barədə Türkiyənin söylədiyinin əksinə olaraq, ərazini idarə etmək üçün onların istifadə etdikləri qrupların özü mülkilərə qarşı təhqiramiz hərəkətlərə və etnik zəmində ayrıseçkiliyə yol verir\". Aras normal otura bilmir Qırılan umidlər \"İlk əvvəl doğma Qastal Cendo kəndimizi tərk edib Azaz şəhərinə, həmin şəhər qrupların nəzarətinə keçəndən sonra Afrinə gəldik\", - Əminə Həmid xatırlayır. Onun oğlu Aras yaxınlıqdakı sahəni yoxlamaq üçün gedib, lakin geri qayıtmayıb. 30 yaşılı Aras, Hələbdən şimalda maşında 30 dəqiqəlik məsafədə yerləşən Azaz şəhərində yolun kənarında \"nəzarətçi qrup tərəfindən ağır işgəncələrə\" məruz qalandan sonra tapılıb. \"O, eşitmə qabiliyyətini itirmişdi, sol qulağı üç fərqli yerdən kəsilmişdi, düz bağırsağı və bədəninin anal hissəsi çox ağır şəkildə yaralanmışdı\", - Əminə xatırlayır. Əminə 2016-cı ildə bir ildən çoxdur ki, itkin düşmüş oğlunun diri tapılacağına bütün ümidlərini itirmişdi. Adam oğurluğu, qətllər və işgəncələrin geniş yayıldığı mühitdə o, oğlunun kəndə nəzarət edən qrup tərəfindən öldürüldüyünü düşünürdü. Əminə oğluna körpə kimi baxmalıdır - yedizdirməli, təmizləməli və gözü üstündə olmalıdır Peşmanlığına yeganə səbəb oğluyla vidalaşa bilməməsi idi, onu son dəfə öpüb meyiti üzərində bir dua etmək imkanının olmaması idi. Əvvəl Əmina oğlunun harada olması barədə qrupdan bir məlumat öyrənmək üçün özünü risk altına qoyaraq kəndə qayıtdı. \"Onlar məni təhqir edərək qovdular, oğluma etdiklərini mənə də edəcəkləriylə hədələdilər\", - dedi. Bir müddətdən sonra oğlunun ayaqqabısını kənd sahəsində tapanda onun öldürüldüyünü zənn edib. Lakin qonşusu oğlunun Hələbdəki bir xəstəxanada çəkilmiş fotosunu və Facebookda onu oradan götürmək barədə çağırışı olan bir yazını gördüyünü deyəndən sonra Əminə huşunu itirdi. Arasın tapılması Hələbdə Arasın əmilərindən biri onu xəstəxanadan götürmək üçün hazırlıqlar gördü. Əmisi Arası anası Əminəyə çatdırdı və bundan sonra bir çox adam gəlib ona baş çəkdi. Əminə xatırlayır ki, oğlunun \"körpə kimi beşikdə\" gətirildiyini görən zaman şoka düşüb. Oğlu çox arıqlamışdı və demək olar ki, tanınmaz halda idi. Əmina onu görəndə necə huşunu itirdiyini və sonradan oğlunun halına görə necə zar-zar ağladığını xatırlayır. Həzm sistemini təsirləndirən zədələrlə yanaşı o, eşitmə qabiliyyəti itmişdi və nəyin baş verdiyini anlamırdı. Arasın sol qulağına üç yerdən tikiş qoyulub \"İşgəncə verilib\" Ailəyə xəstəxanadan Arasın başına nə iş gəldiyi, Azaz-Hələb yolunda onun necə tapıldığı və məruz qaldığı işgəncələrdən aldığı yaralara və yanıqlara görə dövlət xəstəxanasında aylarla müalicə aldığı barədə məlumat verilib. Həm kürd, həm də Suriya Qızıl Xaç təşkilatları tərəfindən onun durumunu izah edən bir xəstəlik kağızı hazırlanıb. \"Üzü işgəncə səbəbindən demək olar ki, tanınmaz hala gəlmişdi. Onu bir ət parçası kimi gətirmişdidilər. Ona bədənin anal hissəsində iti bir əşya ilə işgəncə veriblər, nəticədə anusunda və daxilində iri kəsilmə yaralar əmələ gəlib. Bir neçə ay davam edən müalicədən sonra Aras yalnız ayaqlarını çarpazlayıb otura bilir. O, köməksiz gəzə bilmir, əsasən kürəyində yata bilir; nə hərəkət edir, nə də ki, yemək-içmək istəyir. \"Mən onu yedizdirməsəm, ona su verməsəm, günlərlə yeyib-içməz\". Əminə deyir ki, oğlu bağırsağının işini idarə edə bilmədiyindən onun alt paltarını gündə \"üç-dörd dəfə dəyişdirməli olur\". \"O, sakitləşdirici həblər olmadığı təqdirdə özü üzərində bütün nəzarəti itirir. Məni vurmağa və itələməyə çalışır. Onun anası olduğumu bilmir. Ən ağırı da budur\", - Əminə ağlayaraq deyir. \"Demək olar ki, ölüdür. Buna inanmaq üçün bunu görmək lazımdır. O, həmin adam deyil. Bir neçə əlilliyi var. Sol qulağı üç yerdən tikilib\". Hal-hazırda Əminə oğlu və əlil əri ilə birlikdə Təl-Rifətdəki qaçqın düşərgəsində yaşayır. O, bir gün kəndinə qayıdacağına ümid edir. Türkiyə prezidenti Recəp Tayyip Erdoğan BMT Baş Assambleyasında çıxış edərkən təklif olunan təhlükəsiz zonanın xəritəsini nümayiş etdirib Adam oğurluğu, ölüm və şantaj Hazırda Londonda olan Cəmilə deyir ki, silahlı birləşmələr bu yaxınlarda Afrində onun qardaşını oğurlayıblar. \"Onlar onu aparandan sonra onun telefonundan bizə zəng edib pul tələb etdilər. Onu azad etmək üçün biz 10000 funt sterlinq göndərməliydik.\" \"Qardaşım bilirdi ki, daha çox pul qazanmaq üçün onlar bunu yenə də \\ edəcəklər. Odur ki, o, Afrindən Təl-Rifətdakı qaçqın düşərgələrinə qaçdı. Aylardır orada qaldı\", - Cəmilə deyir. BMT-nin sentyabrda hazırlanmış hesabatında deyilir ki, \"silahlı qruplar və cinayətkar dəstələr tərəfindən adam oğurluqları hallarının qurbanları hamısı həkim, iş adamı və ya tacir kimi varlı sayılan mülki şəxslərdir\". \"Qurbanlar çox vaxt nəzarət məntəqələrində yoxa çıxır və ya gecə evlərindən aparılır\", - hesabatda deyilir. \"Türkiyə silahlandırdığı qrupların nümayiş etdirdiyi pislənilən davranışa göz yumur, - Whitson deiyib. - Türkiyə bu ərazilərə nəzarət etdiyi müddət ərzində bu zorakı halları araşdırıb və onlara son qoyulmasına görə məsuliyyəti daşıyır.\" Hazırda Manchester şəhərində yaşayan Əmirə BBC-yə bildirib ki, 70 yaşlı atası \"Afrində keçmiş kürd rəsmiləri ilə əməkdaşlıq etdiyi üçün\" bir ildən çoxdur ki, Ankarada həbsdədir. Bir çox yerli sakinlərin dediyi kimi, Ankaranın maliyyə dəstəyi kəsiləndən sonra silahlı qruplar itkilərin əvəzini çıxmaq üçün bir vasitə olaraq adam oğurluğu və pul qoparmaq məqsədi ilə hədələmələrə əl atıb. Türkiyə rəsmiləri isə problemlərinin kürdlərlə deyil, PYD (Demokratik partiya) və YPG (Xalqın müdafiəsi bölmələri) ilə əlaqəli olduğunu, hər ikisini də Ankaranın qanunsuz saydığı Kürdüstan İşçi Partiyasının və ya PKK-nın qolu hesab edildiyini bildirib. Hazırda Afrin bölgəsi Türkiyənin Hatay və Kilis vilayətləri vasitəsi ilə idarə olunur. Siyasi məhbuslar və keçmiş kürd rəhbərliyi ilə \"əməkdaşlıq\" etdikləri hesab olunanlar Ankarada həbsdə saxlanılırlar. Afrin yaxınlığındakı məktəbdə suriyalı şagirdlər Türk bayraqları və şarlarını dalğalandırırlar Təxribatlar Şadi Mustafa Afrindəki silahlı qruplar tərəfindən növbəti dəfə saxlanılanda bu, Şadi və həyat yoldaşı Nisrin üçün artıq \"həddi keçən\" bir hadisə oldu. \"Mənə işgəncə verildi, dəmir çubuqla bədənimi dağladılar\", - o deyir. Hər dəfə özünü azadlığa çıxmaq üçün o, böyük məbləğdə xərac ödəməli olurdu. Nəhayət, iyun ayında o, arvadı ilə birlikdə müxtəlif qrupların əlindən \"döyülmə, təhqir və pul məqsədiylə hədələmə\" hallarından xilas olunmaq üçün Təl-Rifət qaçqın düşərgəsinə qaçıb. \"Bizə Afrinin təhlükəsiz olduğu deyilmişdi. Mən və həyat yoldaşım onlara inandıq və qayıtdıq, lakin keçmiş kürd administrasiyası ilə əməkdaşlıq edən biri kimi həbs olundum\", - o deyir. Şadi, Afrindəki Türkiyənin dəstəklədiyi qruplar tərəfindən işgəncəyə məruz qaldıb, bədəni dəmir şişlə dağlanıb. \"Məni gözlərimi bağlayıb, əllərimi qandallayıb həbsxanaya apardılar. Onlar məni döyüb, söyüb, təhqir edirdilər. Sonra mənə bir neçə gün ərzində işgəncə verməyə başladılar və bədənimi dağlamağa başladırlar. İzlər bədənimdə hələ qalır\". - Şadi deyir. Həbsdə olarkən Şadi deyir ki, qadınların qışqırıq və ağlama səslərini eşidib. \"Görünür, kürdlər idi. Bu həbsxana yalnız siyasi məhbuslar üçündür\", - o deyib. Nəhayət, Şadi arvadı ilə birlikdə Hələbdən şimalda yerləşən Təl-Rifət qaçqın düşərgələrinə gəlib çıxa bilib. O, günlərin bir günü Afrinə qayıda biləcəyinə ümid edir, \"Türk ordusu və müttəfiq silahlı dəstələr çıxıb gedəndən sonra\" . Türkiyə Prezidentinin mətbuat katibi İbrahim Kalın son müsahibəsində, əlavə məlumat vermədən bildirib ki, Türkiyənin dəstəklədiyi silahlı qruplar tərəfindən yol verildiyi iddia edilən insan haqları pozuntuları ilə bağlı bir sıra araşdırmalar aparılmaqdadır. Bu materialda müsahiblərin kimliyini qorumaq məqsədiylə adlar dəyişdirilib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47235072", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47279572", "doc1": "চীনের প্রথম সম্রাটের একজন দেবতা ছিলেন যিনি গণিত তৈরি করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। সেই গণিত বা অংকের শুরুটা হয়েছিল মিসর, মেসোপটেমিয়া এবং গ্রীসে। কিন্তু এসব সভ্যতার পতনের সাথে সাথে গণিতের পরের ধাপের অগ্রযাত্রা ঘটে পশ্চিমের দেশগুলোতে। এদিকে প্রায় নিঃশব্দেই তখন প্রাচ্যের দেশগুলোতেও গণিত পৌঁছে গেছে নতুন উচ্চতায়। সেসময় প্রাচীন চীনে হাজার মাইল দীর্ঘ প্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে অংকের হিসাবে-- প্রতি পদক্ষেপ গুণে গুণে। আরো পড়ুন: চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীন কি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ? বাংলাদেশকে নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব: নেপথ্যে কী? হারেম ব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল মর্যাদাশীল নারীর গর্ভ থেকে যেন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার আসে। দেশটিতে অংক এত জরুরী ছিল যে সাম্রাজ্যের কার্যক্রম কি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম, তারও ভিত্তি ছিল গণিত বা অংক। গাণিতিক ভালবাসার হিসাবনিকেশ ক্যালেন্ডার ও গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হত সম্রাটের সকল সিদ্ধান্ত, এমনকি তার দিন ও রাতের কর্মকাণ্ডও নির্ধারিত হত এর দ্বারা। সম্রাটের উপদেষ্টারা নতুন এক পদ্ধতি বের করেছিলেন, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হতো হারেমের বিপুল সংখ্যক নারীর সঙ্গে সম্রাটের রাত্রিযাপনের পালাক্রম। কী সেই পদ্ধতি? এই পদ্ধতির মূল ব্যপারটি ছিল গাণিতিক হিসাব যাকে বলা হতে 'জ্যামিতিক ক্রমবৃদ্ধি'। কিংবদন্তী আছে, ১৫ রাতের ব্যবধানে সম্রাটকে ১২১ জন নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হবে। তার ক্রম নির্ধারিত হত এভাবে: * সম্রাজ্ঞী * তিনজন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী * নয়জন পত্নী * ২৭জন উপপত্নী এবং * ৮১জন দাসী প্রতিটি দলে নারীর সংখ্যা তার আগের স্তরের নারীদের তিন গুণ। এর ফলে গাণিতিক হিসাব করে সহজেই একটি রোটা বা তালিকা করে ফেলা যেত যে ১৫ রাতের মধ্যে সম্রাট হারেমের প্রতিজন নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করছেন। 'রাজসিক উদ্যম' প্রথম রাত্রি নির্ধারিত ছিল সম্রাজ্ঞীর জন্য। এরপর পালাক্রমে আসতেন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী এবং পত্নীরা। প্রাচীন চীনে বিশ্বাস করা হত যে প্রতিটি সংখ্যার মহাজাগতিক গুরুত্ব আছে। উপ পত্নীদের তালিকা অনুযায়ী পছন্দ করা হতো, একেক রাতে নয়জন করে। সর্বশেষ নয় রাতে পালা করে ৮১ জন দাসীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন সম্রাট। তালিকায় এটা অবশ্যই নিশ্চিত করা হত যে, মর্যাদায় উচ্চতর অবস্থানে থাকা নারীদের সঙ্গে সম্রাট পূর্ণ-চাঁদের কাছাকাছি সময়ে রাত কাটাবেন। এর মাধ্যমে সম্রাটের উত্তরাধিকার অর্থাৎ তার সন্তান-সন্ততি যেন মর্যাদাশীল নারীর গর্ভে জন্ম নেয় সেটি নিশ্চিত করা হতো। এভাবে সম্রাটের শয্যার রুটিনেই কেবল গণিত নয়, সাম্রাজ্যের বংশ পরম্পরাও সৃষ্টি হত গাণিতিক হিসেব নিকেশ অনুযায়ী। চীনা সাম্রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রেও গণিত এক বিরাট প্রভাব রেখেছিল। গণিত প্রীতি চীন ছিল এক বিশাল ও ক্রমবর্ধনশীল সাম্রাজ্য, যেখানে আইনকানুন খুব কড়া ছিল। ব্যাপক কর দিতে হত নাগরিকদের। চীনের প্রাচীর নির্মান হয়েছিল গাণিতিক সংখ্যাক্রম মেনে। এছাড়া ওজন, মাপজোক আর মুদ্রার প্রচলন ছিল। পশ্চিমের দেশগুলোর এক হাজার বছর আগেই প্রাচীন চীনে দশমিকের ব্যবহার ছিল এবং সমীকরণের সমাধানে তা ব্যবহৃত হত। পশ্চিমের দেশগুলোতে যা উনিশ শতকের শুরুর আগ পর্যন্ত দেখা যায়নি। কিংবদন্তী জনশ্রুতি আছে, চীনের প্রথম সম্রাটের একজন দেবতা ছিলেন, খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০০ সালে যিনি গণিত তৈরি করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি সংখ্যার মহাজাগতিক গুরুত্ব আছে। এমনকি আজকের চীনেও সংখ্যা তত্ত্বের এই গুরুত্বে বিশ্বাস করেন চীনারা। বিজোড় সংখ্যাকে পুরুষ আর জোড় সংখ্যাকে নারী হিসেবে ভাবা হয়। চার সংখ্যাটিকে এড়িয়ে যাওয়া হবে যেকোনো মূল্যে। আট সংখ্যাটি সৌভাগ্য নিয়ে আসে সবার জন্য। প্রাচীন চীনারা সংখ্যার ছক দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খেলা যেমন সুডোকু তৈরি করেছিল। ষষ্ঠ শতকে নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ণয় করে চীনা জ্যোতির্বিদ্যা এই গাণিতিক হিসাবে উপরেই নির্ভর করতো। এমনকি বর্তমানে যে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্রিপ্টোগ্রাফি বা সংকেত-লিপি লেখা হয়, তার ভিত্তিও এই গণিত। চীনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু", "doc2": "Qərb sivilizasiyasında riyaziyyatın tarixi Qədim Misir, Mesopotamiya və Qədim Yunanıstandan başlayır. Lakin bu dövlətlərin süqutundan sonra Qərbdə riyaziyyat bir neçə yüzillik ərzində inkişafdan qaldı. Bu dövrdə Şərqdə riyaziyyatın inkişafı yeni zirvələrə qalxdı. Qədim Çində 9000 km uzunluğu olan Böyük Çin səddinin layihələşdirilməsində və inşasında riyaziyyat əsas alət rolunu oynayıb. Çin imperatorunun saray əhlinin həyatı rəqəm və riyazi ədədlərlə müəyyən edilirdi. Riyaziyyat və planlaşdırılma Qədim Çində imperator hərəmxanası sistemi hökmdar üçün çoxsaylı və layiqli varislərin dünyaya gəlməsini təmin etməli idi. İmperatorun planları və qərarları təqvimə və planetlərin hərəkətinə uyğun qurulurdu. Riyazi modellər imperatorun gününün və hətta gecəsinin necə keçəcəyini müəyyən edirdi. İmperatorun vəzirləri, misal üçün, imperator hərəmxanısandakı qadınlardan heç birinin diqqətsiz qalmaması üçün müəyyən riyazi distur icad etmişdilər. İmperatorun gecələrinin cədvəli həndəsi silsilə əsasında qurulmuşdu. Əfsanəyə görə, imperator 121 qadından ibarət hərəmxanasının hər bir üzvü ilə 15 gecədən ibarət dövr ərzində yatmalı idi. İmperatorun 121 qadını bunlar idi: imperatriça, üç böyük arvadı, doqquz digər arvadı, 27 məşuqəsi və 81 kənizi. Qadınların hər bir növbəti qrupu əvvəlki qrupdan sayca üç dəfə çox idi. Birinci gecə imperatriçanın idi. Sonrakı gecəni imperator üç böyük qadını ilə keçirməli idi. Üçüncü gecə qalan doqquz arvad üçün idi. Daha sonrakı üç gecəni imperator 27 məşuqəsi ilə keçirməli idi - hər gecə onun yanına 9 məşuqəsi gəlirdi. Qalan gecələri isə imperator kənizlərilə keçirirdi - hər gecə onun yanına yenə də doqquz kəniz gəlirdi. Əfsanəyə görə, riyaziyyat Çinin əfsanəvi Huanq Di və ya Sarı İmperatorunun hökmülə eramızdan 2800 il əvvəl yaradılıb. Bu cür \"cədvəl\" imperatorun, hərəmxanasının \"yüksək ranqlı\" qadınları ilə gecəni ayın bədirlənməsi dövründə keçirməsini təmin etməli idi. Nəticədə, Çin fəlsəfəsində qadın gücünün \"in\" adlanan pik dövrü və imperatorun \"yan\" kişi gücünə uyğun gəlməli di. İmperatorun vəzirləri belə cədvəl tutmaqla ilk növbədə imperatorun layiqli varislərinin, daha dəqiq deyilsə, mümkün varislərdən ən yaxşısının dünyaya gəlməsini təmin etməyə çalışırdılar. Digər dövlət işləri də riyaziyyat əsasında aparılırdı. Riyaziyyata maraq Rəqəmlərin sehrli gücünə Çində bu gün də inanırlar. Çində 10 rəqəmi əsasında qurulan hesablama sistemi Qərblə müqayisədə 1000 il əvvəl istifadə olunmağa başlanıb. Əfsanəyə görə, riyaziyyat Çinin əfsanəvi Huanq Di və ya Sarı İmperatorun hökmü ilə eramızdan 2800 il əvvəl ilahi qüvvələr tərəfindən yaradılıb. O dövrdə çinlilər rəqəmlərin kosmosdan Yerə göndərildiyinə inanırdılar. Rəqəmlərin sehrli gücünə Çində bu gün də inanırlar. Tək ədədlər kişi mənşəli, cüt ədədlər isə qadın mənşəli sayılır. 4 rəqəmindən Çində hamı kənar durmağa çalışırsa, 8 rəqəmi, əksinə, Çində xoşbəxtlik gətirən rəqəm sayılır. Eramızın VI əsrində Çində irəli sürülmüş ədəd qalıqlarına dair riyazi teorem astronomiyada istifadə olunub, planetlərin hərəkət trayektoriyasının hesablanmasına tətbiq edilib. Həmin nəzəriyyədən indiyədək istifadə olunur, misal üçün, internet şəbəkələrində məlumatların kodlaşdılrılması üçün. Məqalənin müəllifi - Marcus du Sautoy, Oxford Universitetinin riyaziyyat professoru və BBC-nin \"Riyaziyyat tarixi \" adlı proqramının aparıcısı."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46367637", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-43343066", "doc1": "ইউরোপীয় পার্লামেন্ট গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের 'গণতন্ত্র সমর্থন ও নির্বাচন সমন্বয়' দলটির চেয়ারপার্সন ডেভিড ম্যাক আ্যলিস্টার এবং লিন্ডা ম্যাকআভান জানান, তারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বা ফলাফল নিয়ে কোন ধরণের মন্তব্য করবেন না। তাছাড়া এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনও থাকবে না। \"ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের কাউকে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ বা নির্বাচনকে ঘিরে কোন মন্তব্য করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি,\" বলে তারা যৌথভাবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন। আরও পড়তে পারেন: 'বিদেশী পর্যবেক্ষক ভোটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে' ভোটের সময় পর্যবেক্ষণে বিধিনিষেধ কি প্রভাব ফেলবে? শেখ তন্ময়কে নিয়ে হইচই, তিনি কতটা জানেন? নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কতটা আছে? ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন (ফাইল ছবি) নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের যে কোন ধরণের বিবৃতি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিনিধিত্ব করে না বলে তারা জানান। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, তাদের অবস্থান সম্পর্কে ১৫ই নভেম্বর রিজল্যুশনে সব উল্লেখ করেছিল বলে ওই বিজ্ঞপ্তির বিশেষ দ্রষ্টব্যতে জানানো হয়। সেখানে তারা আশা প্রকাশ করে যে, এবার \"শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন\" হবে যাতে নাগরিকরা তাদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে পারবে। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন সহিংসতা বা সহিংসতার উস্কানি দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।", "doc2": "Avropa Parlamenti Azərbaycanda erkən prezident seçkisini müşahidə etməyəcək Bu barədə Avropa Parlamenti məlumat yayıb. Məlumatda deyilir ki, Avropa Parlamenti nə Azərbaycanda aprelin 11-də, nə də Rusiyada martın 18-də keçiriləcək seçkini müşahidə edəcək. \"Avropa Parlamenti nə seçki prosesini, nə də nəticələrini şərh edəcək\", parlamentin demokratiyanın dəstəklənməsi və seçki koordinasiyası qrupunun həmsədrləri cənab McAllister və cənab McAvan bildirib. Onlar vurğulayıblar ki, Avropa Parlamentinin hər hansı üzvünə müşahidəçilik və seçki prosesini şərh etmək səlahiyyəti verilməyib. Həmçinin oxuyun: Həmsədrlər bildiriblər ki, Avropa Parlamentinin üzvləri öz təşəbbüsləri ilə seçkini müşahidə edə bilərlər, ancaq Avropa Parlamenti adından məsələləri şərh edə bilməzlər. Bəyanat müəllifləri onu da bildiriblər ki, yazda keçiriləcək plenar iclas zamanı Avropa İttifaqı və Azərbaycan arasındakı münasibətlər barəsində hesabat qəbul ediləcək. «Yalnız həmin hesabat bu məsələ ilə bağlı Avropa Parlamentinin rəsmi mövqeyini ifadə edəcək», - açıqlamanın sonunda bildirilir. \"Qəribə bəyanat\" Milli Məclisin beynəlxalq münasibətlər və parlamentlərarası əlaqələr komitəsinin üzvü Asim Mollazadə BBC Azərbaycancaya şərhində Avropa Parlamentinin bu qərarını \"qəribə bəyanat\" adlandırıb. O deyir ki, Azərbaycan Avropa Parlamentinin üzvü deyil, qurumun qarşısında heç bir öhdəliyi yoxdur, seçkini müşahidə etmək missiyası göndərilməsini də onlardan xahiş etməyib: \"Hesab edirəm ki, bu, hansısa qruplar tərəfindən siyasi mahiyyət daşıyan qərardır\", millət vəkili bildirib. \"Onlar prosesləri tənqid etmək istəmirlər\" \"Onlar seçkidən sonra nəyisə gözləyirlər, bəyanatlarında da var ki, Azərbaycan Avropa İttifaqı münasibətləri ilə bağlı hesabatları olacaq\", Turan Informasiya Agentliyinin rəhbəri Mehman Əliyev deyir. Azərbaycanın Avropa İttifaqı ilə Strateji Əməkdaşlığı Sazişinin imzalanması ilə bağlı danışıqların getdiyi nəzərə alınsa, gözləntinin nə olduğunu təxmin etmək olar, deyə Mehman Əliyev əlavə edir: \"Faktiki olaraq, prosesə qarışmadıqlarını göstərirlər\". Onun fikrincə, növbədənkənar prezident seçkisinin Qərb institutları tərəfindən hər hansı tənqidə məruz qalmaması onu göstərir ki, 11 aprel prezident seçkisi Qərblə razılaşdırılıb və Azərbaycan hansısa öhdəliklər götürüb: \"Ona görə də Avropa İttifaqı proseslərə tənqidçi mövqedən yanaşmaq və müdaxilə etmək istəmir\", Mehman Əliyev vurğulayır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43441510", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43456882", "doc1": "আইপ্যাডের মত ডিজিটাল যন্ত্রে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা আই প্যাডের মত ডিজিটাল যন্ত্রের প্রতি শিশুদের আসক্তিতে ব্যস্ত বাবা-মাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। ডিজিটাল যন্ত্রপাতি নাড়াচাড়া করে শিশুদের সাড়া দেওয়ার অনুভূতিও ক্ষুরধার হচ্ছে হয়তো, কিন্তু লেখার জন্য আঙুলের পেশী নিয়ন্ত্রণের যে সূক্ষ্ম দক্ষতা দরকার তা কি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? ইংল্যান্ডে শিশুদের থেরাপি বিষয়ে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ স্যালি পেইন তার পর্যবেক্ষণে দেখেছেন ডিজিটাল যুগের শিশুদের সেই দক্ষতা নষ্ট হচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, স্কুলে ঢোকার পর শিশুদের হাতে যখন পেন্সিল দেওয়া হচ্ছে, তারা সেটাকে ঠিকমতো ধরতে পারছে না, কারণ সেটিকে ব্যবহারের জন্য মৌলিক যে দক্ষতা দরকার সেটা তাদের নেই। . \"পেন্সিল ধরে সেটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাজে লাগানোর জন্য হাতের আঙুলের সূক্ষ্ম পেশিগুলোর ওপর শক্ত নিয়ন্ত্রণ লাগে...সেই দক্ষতা অর্জনে অনেক অনুশীলন এবং সুযোগ দরকার\"। মিস পেইন বলেন, ডিজিটাল ট্যাব এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহারের অবাধ সুযোগ পেয়ে, শিশুদের মধ্যে পেন বা পেন্সিল ধরার এবং তা ব্যবহারের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্লক দিয়ে বিল্ডিং বানানোর মত খেলা, দড়ি বা ইলাস্টিক টানতে হয় এমন ধরণের খেলনা ব্যবহারে শিশুদের সেই পেশি ব্যবহারের ক্ষমতা তৈরি হয়। \"আই প্যাড ব্যবহার করে সেটা হয়না\"। ব্রিটেনে যোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের হিসাবে দেশের অর্ধেকেরও বেশি পরিবারে ডিজিটাল ট্যাবলেট এবং অন্তত ৭৬ শতাংশ পরিবারে স্মার্ট ফোন রয়েছে। আরো পড়ুন: সাকিব ও নুরুলের সাজা, তীব্র ভর্ৎসনা ম্যাচ রেফারির কাঠমান্ডুতে ১৭ বাংলাদেশী যাত্রীর মরদেহ সনাক্ত উন্নয়নশীল দেশের তকমায় লাভ কী হবে বাংলাদেশের? হাতের লেখার পক্ষে প্রচারণা করছে এমন একটি সংস্থার সাথে কাজ করেন ড জেন মেডওয়েল। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে ডিজিটাল যন্ত্রের উপস্থিতি যত বাড়ছে, শিশুদের মধ্যে পেন্সিলের ব্যবহার তত কমছে। \"একসময় শিশুরা দেখতো তার বাবা-মা পেন দিয়ে বাজারের ফর্দ লিখছে, এখন তারা দেখে বাবা-মা মোবাইল ফোনে টেক্সট করছে। ফলে শিশুদের প্রথম শিক্ষার ধারাও বদলে গেছে\"। তবে তিনি বলেন, ট্যাব ব্যবহারে আঙুলের পেশি ঘোরানোর দক্ষতা একবারে নষ্ট হয়ে যায়, এমন কথা বলার সময় এখনও হয়তো আসেনি। \"এখনো এমন গবেষণা হয়নি যেটা বলছে ট্যাব ব্যবহার করলে একজন শিশুর শুধু আঙুল ঘষার দক্ষতা তৈরি হয় এবং সে পেন্সিল ধরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে\"। তবে তিনি বলেন, হাতে লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৬ সালে এক গবেষণায় দেখা যায় যে সব ছাত্ররা হাতে লেকচার নোটস লেখেন, তারা পরে সেগুলো অনেক ভালো মনে রাখতে পারেন এবং তাদের ধারণা অনেক পরিচ্ছন্ন থাকে। কম্পিউটার বা ট্যাবে যারা নোটস নেন, তারা অনেক লিখতে পারলেও পরে মনে রাখতে পারেন না। বিশেষ করে শিশুদের জন্য হাতের লেখার গুরুত্ব অনেক। \"হাতে একটি চিঠি লেখা, আঙুলের জটিল ব্যবহার, এগুলোর জন্য শিশুদের অনেক অনুশীলন করতে হয়, এবং তার ভেতর দিয়েই শিশুদের জ্ঞান লাভ হয়\"। ক্লাসরুমে কম্পিউটারে লেখালেখি হাতে লেখার গুরুত্ব নিয়ে গবেষকরা দ্বিধাবিভক্ত কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে হাতের লেখার চল কমে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি তিনজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের একজন টানা ছয় মাস হাতে কিছু লেখেনি। তবে শিক্ষা জগতে এখনও হাতে লেখা অপরিহার্য। ব্রিটেনে প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কিছুই এখনও হাতে লিখতে হয়। কিন্তু আগের দিনের মতো সুন্দর করে পেঁচিয়ে অক্ষরের সাথে অক্ষর যুক্ত করে শব্দ লেখার সেই চল বলতে গেলে উঠেই যাচ্ছে। ড মেডওয়েল বলছেন - সুন্দর হস্তাক্ষর তেমন কোনো ইস্যু নয়, আসল কথা - হাতে লেখার দক্ষতা ধরে রাখা, সেটা নষ্ট হলে শিশুদের জ্ঞানার্জনও বাধাগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।", "doc2": "Bəzi valideynlər üçün bu cür müasir cihazların uşaqların diqqətini cəlb etməsi xoş bir üsul kimi görünür və hesab edirlər ki, bu, uşaqların zehni inkişafında müsbət rol oynayır. Amma bu cihazlar uşaqların qələmlə yazmağı tələb edən həssas hərəkətlərə malik olmalarının qarşını almırmı? Milli Səhiyyə Xidmətinin İngiltərənin Ürəyi Trestinin baş pediatrik terapevti Sally Payne bunun həqiqət olduğunu göstərən dəlilləri gördüyünü deyib. Həmçinin oxuyun: Guardian qəzetinə müsahibəsində o deyib ki: \"Məktəbə başlayan uşaqlara qələm verilir, lakin onlar qələmi tutmaq üçün lazım olan fundamental hərəkətlərə malik olmurlar.\" \"Qələmi tutub onu tərpətmək üçün barmaqlardaki incə əzələlərin həssas hərəkətini bacarmaq lazımdır.\" \"Bu qabiliyyətə malik olmaq üçün uşaqlara çoxlu imkanlar lazımdır\", o əlavə edib. Xanım Payne uşaqların qələmdən istifadə etmə bacarığının itməsində smartfonlarla planşetləri təqsirləndirib. \"Uşaqlara oyuncaqlarla oynamaq, kağız kəsib yapışdırmaq, ip və digər oyuncaqları dartmaq kimi əzələləri inkişaf etdirən oyunlarla məşğul olmaq əvəzinə onlara iPad vermək daha asandır\", o deyib. Bir neçə il əvvəl bir yaşlı qızın bir jurnaldan planşet kimi istifadə etmə sosial şəbəkələrdə yayılaraq məşhurlaşmış və uşaqların təbii şəkildə rəqəmsal dövrə alışdığı kimi şərh edilmişdi. Qələmlə yazmaq barmaqlardaki incə əzələlərin həssas idarəsini tələb edir Britaniyanın yayım nizamlayıcı təşkilatı ölkədə evlərin yarısından çoxunda bir planşet, evlərin 76 faizində isə smartfonların olduğunu deyib. Dr Jane Medwell əlyazmanın təşviqi ilə məşğul olan Write Your Future Campaign-in (Gələcəyini Yaz Kampaniyasının) üzvüdür. O deyib ki, evlərdə bu cür cihazların yayılmasının nəticəsi odur ki, \"uşaqların qələmlərdən istifadə edərək oynamağa əvvəlki qədər imkanları olmur\". Hətta valideynlərdən öyrənilən vərdişlər də dəyişir. \"Uşaqların ilk gördüyü valideynin smartfonla ismarıc yazmasıdır. Keçmişdə uşaqlar görürdülər ki, valdieynlər, məsələn, alınacaq ərzaqların siyahısını qələmlə yazırlar. Bu səbəbdən uşaqların erkən yazı və oxuma təcrübəsi dəyişib\", Dr Medwell izah edib. Lakin o hələ planşetdən istifadənin əllə hərəkətlərə böyük təsir göstərməsinə dair iddiaları əsaslandırmaq üçün kifayət qədər dəlil olmadığını düşünür. \"Bizdə planşetdən istifadə etməyin qələmi tutmaq bacarığının inkişafına mane olduğunu göstərən araşdırma yoxdur. Biz hətta evlərdə əvvəlki dövrlə müqayisədə daha az qələmlərin olub-olmadığını bilmirik\", o deyib. Lakin əlyazısının mühüm olduğunu göstərən dəlillər mövcuddur. 2005-ci ildə Aix-Marseille universitetində bir nevroelm laboratoriyası üç və beş yaş arasında olan 76 uşağı iki qrupa bölüb - bir qrup qələmlə yazıb, digəri isə kompüterlə. Sınaq nəticələri göstərib ki, qələmlə məktub yazan uşaqlar hərfləri kompüterdən istifadə edən uşaqlardan daha tez və dəqiq öyrənib-tanıya biliblər. 2016-cı ildə Psychogical Science (Psixoloji Elm) jurnalında dərc olunan bir araşdırma göstərib ki, TED tədbirlərində qələmlə qeydlər aparan tələbələr qeydlərini seçərək, kompüterlə qeyd aparan tələbələr isə daha çox deyilənləri tam şəkildə yazmağı üstün tutublar. Hər iki qrup tarixlər kimi faktları yadda saxlasa da, qələmlə qeyd aparan tələbələr ideyalara dair sualları daha dəqiqliklə yadda saxlayıblar. Daha gənc uşaqlar üçün isə qələmlə yazmağın böyük xeyri var. \"Planşet və smartfonlarda çoxlu faydalı şeylər var, lakin uşaqlara adi savadı inkişaf etdirən dünya da lazımdır\", Dr Medwell deyib. \"Məktubu necə hazırlamaq lazımdır, mürəkkəb hərəkətləri necə etmək lazımdır. Bunun üçün məşq etmək lazımdır və bu, uşaqlara oxumağı və yazmağı öyrətməkdə kömək edir\", o əlavə edib. Terapiya müəllimi və Britaniyanın Milli Əlyazma Assosiasiyasının sədr müavini Dr Mellissa Prunty planşet və smartfon istifadəsilə əlyazısı bacarığı arasında əlaqənin olub-olmaması sualına ehtiyatla yanaşır. \"Yazılış qaydaları və dilin inkişafı kimi digər faktorlar da var, lakin bununla yanaşı uşaqların baxça və məktəbdə nə qədər əlyazma ilə məşğul olmaları üçün ayırdıqları vaxtın da təsiri var\", Dr Prunty deyib. Onun klinikasına gələn əlyazma çətinlikləri olan uşaqların, adətən hansısa başqa bir problemi olur. Bunlardan biri koordinasiya inkişafı pozuntusu (Developmental Coordination Disorder) və ya dyspraxia xəstəliyidir. \"Terapevtlərin indi rastlaşdıqları hallarda, uşaqların çoxunda əlyazma ilə çətinliklərə səbəb olan digər problemlər aşkar olunmur\", o deyib. \"Bu maraqlı bir müşahidə olsa da, araşdırma baxımından texnologiyanın ümumiyyətlə həssas əzələ hərəkətlərinə mane olub-olmadığını və bunun əlyazma qabiliyyətinə təsiri olub-olmadığını bilmirik.\" Bəzi ölkələrdə rəqəmsal cihazlarla yazmaq ənənəvi əlyazma formalarından üstün tutulmağa başlayıb 2015-ci ildə Finlandıya əlyazma dərslərini məcburi dərs kateqoriyalarından çıxaran ilk ölkələrdən biri oldu. Buna səbəb rəqəmsal dövrdə klaviaturadan istifadənin indiki nəslə daha faydalı olmasının tanınması idi. Hindistanda da məktəblər bitişik əl yazı dərslərini tərk edib, daha sadə və aydın yazı formasını qəbul ediblər. Bunun tam əks nümünəsi olaraq, 2017-ci ildə ABŞ-ın Illinois ştatı şagirdlərə bitişik əlyazma öyrənməyi məcbur edən qanun qəbul edib. Biz həqiqətən də, əvvəlki qədər qələmlə yazmırıq. 2014-ci ildə keçirilən bir araşdırma böyüklərin üçdə brinin altı ay müddətinə qələmlə heç nə yazmadıqlarını göstərib. Lakin təhsilə gəldikdə əlyazma qabiliyyəti hələ də dəyərlidir. \"Hazırda əlyazma məktəbdən universitetə qədər yazılışın əsas tətbiq olunan üsuludur və uşaqların malik olmağa məcbur olduqları bacarıqdır\", Dr Prunty deyib. \"Əgər əlyazmada çətinliklər varsa, bu yazılış forması, qrammatik qaydalar və ideyaların yaradılması kimi digər sahələrədə mənfi təsir göstərə bilər\", o əlavə edib. Lakin nənə babalarımızın istifadə etdikləri mürəkkəb bitişik əlyazma formasına gəldikdə, Dr Medwell bu yazı formasının faydaları barədə o qədər də əmin deyil. \"Uşaqlara səmərəli yazı forması lazımdır. Bu o deməkdir ki, hərflərin \"düzgün\" hərəkətlərlə yazılması vacibdir ki, bunu düşünmədən edə bilsinlər\", o izah edib. Lakin o əlavə edib ki, mürəkkəb bitişik əlyazma formalarının əlyazma qabiliyyətini inkişaf etdirməsinə dair heç bir dəlil mövcud deyil. Əksinə, o qeyd edib ki, bəzi hallarda texniki baxımdan bu əlyazı forması ilə çətinlik çəkən uşaqları belə yazmağa məcbur etmək onların inkişafına \"əks təsir\" göstərə bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47774822", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/vert-fut-47806398", "doc1": "রাশিয়ার একটি ডেইরি ফার্মে দুধ প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে কিভাবে মানুষের শরীরে অন্য প্রাণীর দুধ হজম করার ক্ষমতা তৈরি হলো? ইদানীং বাজারে প্রাণীর দুধের নানা 'প্রতিযোগী' এসে গেছে। যেমন সয়া দুধ, আমন্ড বাদামের দুধ - এগুলো বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে। যারা 'ভেগান' - তাদের জন্য, অথবা যাদের দুধে এ্যালার্জি আছে - তাদের জন্য এই বিকল্পগুলো বেশ সুবিধাজনক। কিন্তু এগুলো এখনো জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রাণীজ দুধের কাছাকাছি আসতে পারে নি। বিবিসির মাইকেল মার্শাল এক রিপোর্টে লিখছেন, প্রাণীজ দুধের সাথে মানুষের সম্পর্ক হাজার হাজার বছরের পুরোনো। এর ইতিহাসও অতি বিচিত্র উত্থান-পতনে ভরা। মানুষ হয়ে অন্য প্রাণীর দুধ খাওয়াটা কি একটা 'আজব' ব্যাপার? দুধ খাওয়াটা মানুষের কাছে এতই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে যে কেউ যদি বলে - এটা একটা আজব কাজ - তাহলে এ কথা যে বলবে তাকেই বরং আপনার একটা উদ্ভট লোক বলে বনে হবে। কারণ আমরা কখনো এভাবে চিন্তা করি না। একটি গরু বা অন্য কোন প্রাণীর দেহে দুধ তৈরি হয় - তার বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু মানুষ কি করছে? তারা গরুটার বাঁট টিপে টিপে সেই দুধ বের করে নিয়ে নিজেরা খাচ্ছে। এটা কি একটা আজব ব্যাপার নয়? বাংলাদেশের গাজীপুরের কালীগঞ্জে একজন কৃষক গরুর দুধ দোয়াচ্ছেন কিন্তু এমন সংস্কৃতিও আছে, যেখানে প্রাণীর দুধ খাবার কথা অনেকেরই প্রায় অজানা। এই সেদিন, ২০০০ সালে চীনে একটা প্রচারাভিযান শুরু হয়েছিল যাতে লোকে স্বাস্থ্যগত কারণেই আরো বেশি করে দুধ এবং দুধজাত খাবার খায়। এই প্রচারাভিযানটিকে চীনের বয়স্ক লোকদের দিক থেকে গভীর সন্দেহের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। দুধ থেকে যে পনির তৈরি হয় - তা এখনও চীনের অনেক মানুষকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে। বলা হয়, মানব প্রজাতির ইতিহাস মোটামুটি তিন লক্ষ বছরের। সে তুলনায় দুধ খাবার ইতিহাসকে প্রায় 'নতুন' বলা যায়। মোটামুটি ১০ হাজার বছর আগেও মানুষ দুধ প্রায় খেতোই না। খেলেও তা ছিল খুবই বিরল। প্রথম যে মানুষেরা দুধ খেতে শুরু করে তারা ছিল পশ্চিম ইউরোপের কৃষক ও পশুচারণকারী জনগোষ্ঠীর লোক । এরাই ছিল প্রথম মানুষ যারা গরু বা অন্য পশুদের পোষ মানিয়ে গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত করা এবং তাদের দুধ পান শুরু করেছিল। বর্তমানে উত্তর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্য আরো অনেক জায়গায় দুধ পান করাটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। মানুষের জন্য অন্য প্রাণীর দুধ খাওয়াটা যে 'অস্বাভাবিক' তার একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তিও আছে। 'বৈজ্ঞানিক যুক্তি' দুধের মধ্যে আছে এক বিশেষ ধরণের শর্করা - যাকে বলে ল্যাকটোজ। ফল বা অন্যান্য মিষ্টি খাবারে যে শর্করা থাকে তার চেয়ে এটা অনেক আলাদা। আমরা যখন শিশু ছিলাম, আমাদের শরীর এক বিশেষ ধরণের এনজাইম তৈরি করতো যাকে বলে ল্যাকটেজ - যার কাজ ছিল আমাদের মায়ের দুধ হজম করতে সহায়তা করা। কিন্তু শিশু যখন মায়ের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেয় - তখন অনেকের দেহেই সেই ল্যাকটেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। একজন মিশরীয় গরুর দুধ দোয়াচ্ছে, মেথেথি সমাধিসোৗধে আনুমানিক ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বব্দের দেয়ালচিত্র। এই ল্যাকটেজ ছাড়া দুধ ঠিকমত হজম হয় না। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ যদি বেশি দুধ খায় তাহলে তার পেটে গ্যাস হওয়া, পেটে ব্যথা, খিঁচুনি অথবা ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন গরু, কুকুর বা বিড়ালের মধ্যেও দেখা যায় যে তারা পূর্ণবয়স্ক হলে তাদের দেহে ল্যাকটেজ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে অনেকেই দুধ খেয়ে হজম করতে পারেন, কারণ তাদের দেহে ল্যাকটেজ তৈরি বন্ধ হয় না। মানুষের ক্ষেত্রে এটা কিভাবে ঘটলো? দুধ হজম করার 'ল্যাকটেজ' এনজাইম কারো দেহে সারাজীবন থাকে, কারো থাকে না প্রথম যে প্রাপ্তবয়স্ক ইউরোপিয়ানরা দুধ খেয়েছিল - তাদের হয়তো প্রচুর গ্যাস হতো। কিন্তু কিছুকালের মধ্যেই তাদের মধ্যে একটা বিবর্তন ঘটেছিল। তারা মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলেও তাদের দেহে ল্যাকটেজ উৎপাদন অব্যাহত রয়ে গেল, দেখা গেল তারা দুধ খেলেও কোন বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে ডিএনএ'র একটি অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছে - যা ল্যাকটেজ জিনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। হংকং-এ একটি সয়া মিল্কের দোকান বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সুপারফুড: আসছে তেলাপোকার দুধ শিশুকে কত বছর মায়ের দুধ পান করানো উচিত? দুধ খাওয়ায় কি কোন উপকার হয়? এই প্রবণতাকে বলে ল্যাকটেজ পার্সিস্টেন্স এবং এর বিবর্তন নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন প্যারিসের 'মিউজিয়াম অব হিউম্যানকাইন্ড'-এর অধ্যাপক লোরে সেগুরেল। তিনি বলছেন, \"ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে প্রথম ল্যাকটেজ পার্সিস্টেন্স দেখা যায় এখন থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে। আর মধ্য ইউরোপে এটা প্রথম দেখা যায় ৩ হাজার বছর আগে।\" বর্তমানে অনেক জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এ প্রবণতা অর্থাৎ 'দুধ হজম করার ক্ষমতা' খুবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। উত্তর ইউরোপে এখন ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই দেহে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরি হচ্ছে। আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও এ কথা সত্য। কিন্তু এমন অনেক জনগোষ্ঠী আছে যাদের দেহে ল্যাকটেজের অব্যাহত উপস্থিতি অনেক বিরল। আফ্রিকানদের অনেকের মধ্যেই এটা নেই। এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকাতেও এটা সাধারণত দেখা যায় না। কেন এমন হয়, তা এখনো এক ধাঁধাঁ বৈজ্ঞানিকরা বলছেন: কোন কোন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে কী কারণে দুধ খাবার অভ্যাস গড়ে উঠেছে এবং তাদের প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে ল্যাকটেজ এনজাইম তৈরি হচ্ছে - এটার কোন সূত্র বের করা খুবই কঠিন। মি. সেগুরেল বলছেন, \"দুধ খাওয়াটা 'উপকারী' হয়ে উঠেছে কেন, বা অন্য অনেক রকম খাদ্যের উৎস থাকলেও একেবারে অন্য রকম একটি খাদ্য এই দুধই কেন এতটা 'গুরুত্বপূর্ণ' হয়ে উঠেছে - এটা বলা কঠিন।\" কেউ হয়তো বলতে পারেন, দুধ পান করার ফলে মানুষ নতুন একটি পুষ্টিদায়ক খাবারের সন্ধান পেয়েছে, তাদের অনাহারে থাকার ঝুঁকি কমেছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ যুক্তি খুব বেশি খাটে না। যেসব লোক দুধ খেয়ে হজম করতে পারে না, তারাও অল্প পরিমাণ দুধজাতীয় খাবার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই খেতে পারে। তা ছাড়া দুধ থেকে যে মাখন, দই, ক্রিম এবং পনির তৈরি হয় - এর সবগুলোতেই ল্যাকটোজের পরিমাণ অনেক কমে যায়। চেডার এবং পারমিজিয়ানো নামে যে বিশেষ ধরণের পনির আছে তাতে মাত্র ১০ শতাংশ বা তারও কম ল্যাকটোজ থাকে। \"ঘন ক্রিম এবং মাখনে ল্যাকটোজের পরিমাণ সবচেয়ে কম\" - বলছেন সেগুরেল। পারমিজিয়ানো নামে পনির উৎপাদন হচ্ছে। এতে ল্যাকটোজের পরিমাণ প্রায় শূন্যের কোঠায়। জানা যায়, চিজ বা পনির তৈরির কৌশল মানুষ বেশ দ্রুতই উদ্ভাবন করেছিল। গত বছর সেপ্টেম্বরে বর্তমান ক্রোয়েশিয়ায় পড়ে এমন একটি এলাকায় পুরাতত্ববিদরা কিছু মৃৎপাত্রের অংশ খুঁজে পান - যাতে ফ্যাটি এসিডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এতে মনে হয় ওই পাত্র দই বা ছানা জাতীয় কিছু তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো - যা পনির উৎপাদনের একটি ধাপ। এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে দক্ষিণ ইউরোপের লোকেরা ৭,২০০ বছর আগেই পনির তৈরি করতো। ইউরোপের অন্যত্র আরো হাজারখানেক বছর পরের পনির উৎপাদনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। মনে রাখতে হবে তখনও ইউরোপের প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের দেহে ল্যাকটেজ পার্সিস্টেন্স অর্থাৎ দুধ হজম করার এনজাইমের স্থায়ী উপস্থিতি তৈরি হয় নি। তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্সের অধ্যাপক ডালাস সোয়ালো বলছেন, কোন ধরণের লোকের দেহে পরিণত বয়সে উচ্চ মাত্রায় ল্যাকটেজ থাকে এবং কাদের থাকে না - তার একটা স্পষ্ট প্যাটার্ন আছে। তিনি বলছেন, যারা পশুচারণ করতো, গরু-ছাগল-ভেড়া পালতো - তাদের দেহে উচ্চ মাত্রায় ল্যাকটেজ পাওয়া যায়। কিন্তু যারা শিকারী এবং কোন প্রাণী পুষতো না - তাদের মধ্যে জিনের ওই পরিবর্তনটি ঘটেনি। যেসব জনগোষ্ঠী শুধু চাষাবাদ করতো কিন্তু কোন পশুপালন করতো না - তাদের দেহেও 'ল্যাকটেজ পার্সিস্টেন্স' নেই। তার মানে হচ্ছে - যাদের জীবনধারার কারণে প্রাণীর দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল না, তাদের দেহকে দুধ পানের উপযোগী করে তোলার জন্য বিবর্তিত হওয়ার কোন চাপ ছিল না। তাহলে প্রশ্ন হলো, কিছু কিছু পশুচারণকারী জনগোষ্ঠীর দেহে এই বৈশিষ্ট্য তৈরি হলেও অন্যদের ক্ষেত্রে তা হলো না কেন? সুদানের একটি গো-পালন শিবিরে দুধ দোয়াচ্ছে এক বালক সেগুরেল বলছেন, মঙ্গোলিয়ার মতো পূর্ব এশিয়ায় যেসব পশুচারণকারী জনগোষ্ঠী আছে তাদের দেহে ল্যাকটেজের উপস্থিতি অত্যন্ত কম - যদিও তারা খাদ্য হিসেবে তাদের পালিত পশুর দুধের ওপর বিপুলভাবে নির্ভরশীল। অথচ নিকটবর্তী পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপের জনগোষ্ঠীগুলোর জিনে এ পরিবর্তন হয়েছে, কাজেই পূর্ব এশিয়ার গ্রুপগুলোতেও এ পরিবর্তন ছড়াবে এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয় নি, এবং এটা একটা ধাঁধাঁ হিসেবে রয়ে গেছে, বলছেন সেগুরেল। দুধ খাওয়ার কি কোন উপকারিতা আছে? সেগুরেল বলছেন, পুষ্টিগুণ ছাড়াও দুধ পানের হযতো আরো কিছু উপকারিতা আছে। তিনি বলছেন, গবাদিপশুর যেসব রোগ হয় - তাদের পালনকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যেও সেসব রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। এটা হতেই পারে যে গরুর দুধ পান করলে মানবদেহে এমন কিছু এন্টিবডি তৈরি হয়, যাতে এ্যানথ্রাক্স ক্রিপটোস্পোরিডিওসিসের মতো রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। বাচ্চাদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর একটি উপকারিতাও তাই - শিশুর দেহকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা। তবে কোন কোন জনগোষ্ঠীর দেহে যে ল্যাকটেজের উপস্থিতি থাকে না - এটা হয়তো নিতান্তই দৈবক্রমে ঘটেছে - এমনটাও হতে পারে। কলম্বিয়ার বোগোটায় শিশুকে স্তন্যদানরত একজন মা। অধ্যাপক সোয়ালো বলছেন, \"আপনি যদি পশুচারণকারী হন তাহলে আপনার দেহে দুধ হজম করার স্থায়ী ক্ষমতা তৈরি হবে - এটাই হচ্ছে সবচেয়ে আমাদের ছবিটার সবচেয়ে যৌক্তিক অংশ।\" \"কিন্তু দুধ হজম করতে হলে আপনার জিনের সেই বিশেষ মিউটেশনটা হতেই হবে - প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রশ্নটা আসবে তার পরে।\" অধ্যাপক সোয়ালো বলছেন, মঙ্গোলিয়ান গো-চারণকারী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দেখা যায় যে তারা সাধারণত গাঁজানো দুধ খায় - যাতে ল্যাকটোজের পরিমাণ কমে যায়। অধ্যাপক সোয়ালোর ছাত্রী ক্যাথরিন ওয়াকার বলছেন, \"মানুষ দুধকে গাঁজিয়ে ল্যাকটোজ কমিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে এত উন্নতি করেছে, কিন্তু তার পরও তার দেহে দুধ হজমের এনজাইম রয়ে যাচ্ছে কেন সেটাও একটা প্রশ্ন - যার উত্তর পাওয়া কঠিন।\" হয়তো মানবদেহে ল্যাকটেজ পার্সিস্টেন্স তৈরি হবার একটি নয় বরং অনেক কারণ রয়েছে। অধ্যাপক সোয়ালো বলছেন, \"দুধে প্রচুর চর্বি, প্রোটিন, শর্করা বা সুগার, এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডির মতো অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে - এবং এটাই হয়তো মানবদেহে দুধ হজম করার এনজাইমের স্থায়ী উপস্থিতির আসল কারণ। তা ছাড়া এটা পরিষ্কার পানিরও একটা উৎস। এটাও হয়তো কোন কোন জনগোষ্ঠীর বিবর্তনের কারণ হতে পারে।\" মানবদেহে এই পরিবর্তনটা এখনো ঘটছে কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। উত্তর পশ্চিম ফ্রান্সে একটি খামারের দুধেল গরু অধ্যাপক সোয়ালো ২০১৮ সালে একটা জরিপ চালিয়েছিলেন চিলির কোকুইম্বো এলাকায় পশুচারণকারী একটি জনগোষ্ঠীর ওপর। প্রায় ৫০০ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় নতুন আসা ইউরোপিয়ানদের সাথে এই জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষদের যৌনমিলন ও সন্তান উৎপাদন হয়। এখন এই গোষ্ঠীটির মধ্যে দুধ হজম করার ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়ছে। ঠিক যেমনটা ৫ হাজার বছর আগে উত্তর ইউরোপে ঘটেছিল। তবে কোকুইম্বো জনগোষ্ঠী দুধের ওপর নির্ভরশীল, তাই তাদের অবস্থাটা পৃথিবীর অন্য জায়গার মতো নয়। দুধ খাবার অভ্যাস কি কমছে? গত কয়েক বছর যাবৎ যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হতে পারে, লোকজন বোধহয় দুধ খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান একটি রিপোর্ট করে। এতে বলা হয়, ব্রিটিশ জনগণের মধ্যে গরুর দুধের প্রতি আকর্ষণ কমে যাচ্ছে, বরং ওট এবং বাদামের দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে। এতে মনে হয় ঐতিহ্যগত দুধের জন্য একটা লড়াই আসন্ন। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখলে দেখবেন ব্যাপারটা উল্টো। আইএফসিএন নামের ডেইরি রিসার্চ নেটওয়ার্ক তাদে ২০১৮ সালের রিপোর্টে বলছে, ১৯৯৮ সাল থেকে বৈশ্বিক দুধের উৎপাদন প্রতি বছরই বেড়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বে দুধ উৎপাদন হয়েছে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টন। আইএফসিএন বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দুধ উৎপাদন আরো ৩৫ শতাংশ বাড়বে। মানুষ কী খাচ্ছে তার ওপর ২০১০ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে দুধ খাওয়ার পরিমাণ গত দু দশেকে কমেছে, এর জায়গায় কোমল পানীয় পান বেড়েছে। অন্যদিকে এশিয়ায় দুধ খাওয়া বেড়েছে। ২০১৫ সালে ১৮৭টি দেশে চালানো আরেক জরিপে দেখা যায়, বয়স্কদের মধ্যে দুধ খাওয়া বাড়ছে, এর অর্থ হতে পারে তরুণদের মধ্যে দুধ অতোটা জনপ্রিয় নয়। এশিয়ায় দুধ পানের প্রবণতা বাড়ছে, আমেরিকায় কমছে কাজেই বিশ্বে দুধের প্রতি আকর্ষণ যেভাবে বাড়ছে - তাতে 'বিকল্প দুধ' যে তার জায়গা দখল করে নেবে, বা বাজারে আঘাত হানবে - এমন মনে হয় না। তা ছাড়া সয়া, ওট বা আমন্ডের মতো বিকল্প দুধে দুধের মতো পুষ্টিগুণও নেই। এটা শুথু ভেগান বা দুধে এ্যালার্জি আছে এমন লোকদের জন্যই সুবিধাজনক। এশিয়াতে দুধের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে সেটা বেশ বিস্ময়কর। কারণ এশিয়াতে বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রেই বড় হবার পর তাদের দেহে দুধ হজম করার ল্যাকটেজ এনজাইম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তুলনামূলকভাবে দুধের উপকারিতার চেয়ে অধিকাংশ এশিয়ানের ক্ষেত্রে এটা হজম করতে গিয়ে যে সমস্যা হয় - তার পরিমাণ বেশি। উন্নয়নশীল কিছু দেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মানুষের মধ্যে লামার মতো অন্য প্রাণীর দুধ প্রচলিত করার চেষ্টা করেছে, কারণ এটা হয়তো গরুর দুধের চেয়ে সহজপ্রাপ্য বা সস্তা হবে। এ বছরই জানুয়ারি মাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ জরিপে এমন কিছু বৈশ্বিক স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বলা হয়েছে - যাতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে, আবার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও কম হবে। এতে রেড মিট অর্থাৎ গরু-ছাগল-ভেড়ার মাংস ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ বা তার সমমানের কিছু খাবার কথা ঠিকই বলা হয়েছে। সুতরাং মানুষের খাদ্য হিসেবে দুধ এখনো ভালোভাবেই টিকে আছে, এবং এখনো তার প্রসার হচ্ছে। যদিও আমাদের দেহে এই দুধ হজম করার ক্ষমতার বিবর্তন থেমে গেছে।", "doc2": "Elə bir çağda yaşayırıq ki, südün də alternativləri mövcuddur. Soya və ya badam kimi bitkilərdən alınan alternativ südlər veganlar üçün əla seçim olduğu kimi, heyvan südünə allergiyası olan insanlar üçün də yaxşı əvəzləyicidir. Lakin südün alternativ növlərinin artması, insanın heyvan südü ilə münasibətində ən son dəbdir. Bu münasibətin yaşı isə min illərə dayanır. Əslində dərindən fikirləşsək, süd qəribə bir içkidir. Bu maye, inək və sair məməli heyvanların yeni doğulan balalarını yedirməsi üçün yaranır və biz də içmək üçün onu heyvanlardan sağırıq. Bir çox mədəniyyətlərdə isə bu ənənə ümumiyyətlə yoxdur. 2000-ci ildə Çin sağlamlığa müsbət təsiri əsasında insanları süd içmək və süd məhsullarından istifadə etməyə həvəsləndirmək üçün ölkə miqyaslı kampaniya təşkil etmişdi. Kampaniyanın başqa bir məqsədi yaşlı çinlilərdə südə qarşı olan xofu aradan qaldırmaq idi. Qıcqıran süddən əmələ gələn pendir hələ də bir çox çinlilərin ürəyini bulandırır. Rusiyadakı bir südçülük fermasında süd boşaldılır. Bəşəriyyətin 300 min illik tarixinə baxmayaraq, süd içmək yeni vərdiş hesab olunur Bəşəriyyətin 300 min illik tarixi fonunda süd içmək yeni bir vərdiş hesab olunur. Təxminən 10 min il bundan əvvəl demək olar ki, heç kim süd içməyib. İçən olsa da, nadir hallarda baş verib. İlk süd içən insanlar ilkin fermerlər və ilk dəfə inəklər də daxil olmaqla əhliləşdirilmiş heyvanlarla yaşamağa başlayan Qərbi avropalı pastoralistlər olublar. Hal-hazırda süd içmək Şimali Avropa və Şimali Amerikada adi haldır. Uşaq qidası Heyvan südü içməyin niyə qəribə olduğunun bioloji səbəbi var. Südün tərkibində laktoza adlanan şəkər mövcuddur ki, meyvə və digər şirin qidalardakı şəkərdən fərqlənir. Körpə ikən bədənimiz laktaz adlanan ferment yaradır ki, ana südündəki laktoza bu yolla həzm olunur. Lakin diş çıxardıqdan sonra, bir çox körpələrdə bu fermentin istehsalı dayanır. Laktazsız biz süddəki laktozanı düzgün həzm edə bilmirik. Nəticədə çox miqdarda süd içən yetkin yaşlı bir insan köp, ağrılı spazmalar və hətta ishaldan əziyyət çəkə bilər. (Qeyd etməyə dəyər ki, digər məməlilərdə də laktaz yoxdur. Məsələn, yetkin inəklər, pişiklər və ya itlər.) Süd içən ilk avropalılar yəqin ki, köpdən çox əziyyət çəkiblər. Lakin getdikcə təkamül öz işini görüb və bəzi insanlar yetkin yaşda belə, laktaz fermentini saxlamağa başlayıblar. Bu \"laktaz davamlılığı\" insanlara əks-təsir olmadan süd içmək imkanı verib. DNT-də laktaz geninin fəaliyyətini idarə edən hissənin mutasiyaya uğraması nəticəsində bu cür davamlılıq formalaşıb. Misirdə tarixi eramızdan əvvəl 2350-ci ilə çatan Methethi-nin qəbri üzərindəki incəsənət işi, qədim bir misirlinin süd sağdığını təsvir edir \"Laktaz davamlılığı mutasiyasına Qərbdə ilk dəfə 5000 il cənubi Avropada əvvəl rast gəlinib və mərkəzi Avropada 3000 il əvvəl yayılmağa başlayıb,\" Parisdə yerləşən Bəşəriyyət Muzeyinin dosenti və laktoz davamlılığı elmi üzrə 2017-ci ildə çap olunan icmalın həm-müəllifi Laure Segurel deyir. Laktaz davamlılığı xüsusiyyəti təkamül edib və bu gün bəzi cəmiyyətlərdə son dərəcə adi qəbul olunur. Şimali Avropada 90%-dən artıq insan laktaza sahibdir. Eyni hal Afrika və Yaxın Şərqin bəzi xalqları üçün də keçərlidir. Lakin laktaz davamlılığının nadir vəziyyət kimi qiymətləndirildiyi bəzi cəmiyyətlər də mövcuddur: bir çox afrikalılarda bu mutasiya getməyib və Asiya və Cənubi Amerikada da qeyri-adi sayılır. Honkonqda soya südü alan bir qadın. Laktaz davamlılığının mövcud olmadığı asiyalıların bir çoxunda heyvan südü narahatlıq yaradır Bu nümunəni anlamaq bir az çətindir. Çünki biz, süd içməyin və laktaz davamlılığının yaxşı şey olub-olmadığını bilmirik, Segurel deyir: \"Niyə özlüyündə bu qədər güclü şəkildə üstünlük sayılıb ki?\" Ən aşkar cavab budur ki, süd içmək insanlar üçün yeni qida maddələri mənbəyi idi və aclığı azaldırdı. Amma yaxından nəzər salsaq, bunun əsaslı olmadığını görərik. \"O qədər çox sayda fərqli qida mənbələri var ki, bir qida mənbəyinin digərlərindən bu qədər mühüm, bu qədər fərqli olması təəccüb doğurur,\" Segurel söyləyir. Laktoza intolerant olan insanlar əks təsir olmadan müəyyən miqdarda laktoza qəbul edə bilərlər, deməli az miqdarda süd içmək olar. Südü yağ, qatıq, qaymaq və ya pendirə çevirmək variantları da laktozun miqdarını azaldır. Holland pendiri kimi bərk pendirlərin və yağın tərkibindəki laktozanın miqdarı süddəkindən 10 faiz daha azdır. \"Tərkibində ən az laktoza olan süd məhsulları qaymaq və yağdır,\" Segurel deyir. Parmigiano-reggiano (parmezan) kimi bərk pendirlərin tərkibində cüzi miqdarda laktoza olur Buna uyğun olaraq insanlar pendiri çox erkən dövrlərdə kəşf ediblər. 2018-ci ilin sentyabrında indiki Xorvatiya ərazisində saxsı qab hissələri aşkarlayıblar. Onların üzərində yağlı turşulara rast gəlinib. Bu da saxsıların zərdabı kəsmikdən ayırmaq üçün (pendir istehsalında mühüm mərhələ) istifadə edildiyini göstərir. Əgər bu doğrudursa, belə çıxır ki, cənubi Avropada pendir 7200 il əvvəl hazırlanmağa başlanıb. Bu isə laktaz davamlılığı Avropadan yaranmamışdan çox əvvələ təsadüf edir. Yeri gəlmişkən, bəzi xalqların güclü laktaz davamlılığına malik olması və bəzilərinin olmamasının arxasında bir nüans yatdığı aydındır, London Kollec Universitetindən genetika professoru Dallas Swallow belə düşünür. Bu xüsusiyyətə sahib insanlar mal-qara saxlayan pastorialistlərdir. Ovçuluq-yığıcılıqla məşğul olan insanlarda mutasiyaya ehtiyac qalmayıb - bu, bitki becərən \"meşə bağbanlarına\" da aiddir. Heyvan südü əldə etməyən insanların onu içmək kimi təkamül dəyişikliyinə məruz qalmaması ağlabatandır. Bəs necə olub ki, bəzi pastorialistlərdə laktaz davamlılığını digərlərindən daha çox qazanıblar? Mal-qara düşərgəsində inək sağan sudanlı oğlan Segurel şərqi Asiyanın çobanlarını misal çəkir. Məsələn, Monqolustan çobanları qidaları üçün heyvanlarının südünə ehtiyacı olmalarına baxmayaraq, ən az laktaz davamlılığına malik insanlardır. Mutasiyalar yaxınlıqdakı Avropa və Qərbi Asiya əhalisi arasında geniş yayıldığına görə, bu Şərqi asiyalı qrupa da təsir etdiyini düşünürsən. Lakin elə olmayıb. \"Bu böyük bir tapmacadır,\" Segurel deyir. Süd məhsullarının faydaları O, südün qidalı maddələr təminatından savayı, başqa üstünlükləri olduğunu dilə gətirir. Mal-qara saxlayan insanlar onların xəstəliklərinə də asanlıqla yoluxa bilər. Buraya qarayara və kriptosporidioz da daxildir. Bəlkə də inəyin südü onların orqanizmində bu infeksiyaların bəzilərinə qarşı immunitet formalaşdırır. Südün faydalarından biri də onun qoruyucu təsirinin südəmər körpələrə effektidir. Kolumbiyanın Boqota şəhərində Dünya Südvermə Günü münasibətlə təşkil olunan tədbirdə analar övladlarını əmizdirirlər. Südün qoruyucu təsiri süd əmmənin faydalarından biri hesab olunur Lakin sirli görünən laktaz davamlılığı çatışmazlığı şans nəticəsində də əmələ gəlmiş ola bilər. Yəni, bir qrup pastoralist arasında eyni mutasiya getməyə bilər. Unutmayaq, əvvəllər əhalisinin sayı daha az olan Yer kürəsində bəzi qrupların bəxtinin gətirməməsi ağlabatandır. \"Məncə, həyat tərzi ilə pastoralizm arasında bir nisbət mövcuddur,\" Swallow deyir. \"Bunun üçün isə mütləq mutasiya olmalıdır.\" Yalnız bu halda təbii seleksiya işləyə bilər. Monqol çobanları isə az laktozası olan acımış süd içirlər, Swallow diqqət çəkir. Südü içməyə yararlı edən emal ilə laktaz davamlılığı arasındakı uzlaşma daha da təəccüblü hal alır. \"Südün emalı və acıma prosesinə o qədər yaxşı uyğunlaşmışıq ki, genetik adaptasiyanı anlamaqda çətinlik çəkirəm\", Swallow-un doktorantura tələbəsi Catherine Walker deyir. Laktaz davamlılığına təsir edən bir yox, bir neçə faktor ola bilər. Swallow əsas səbəbi, südün tərkibindəki faydalı maddələrdə görür: yağ, protein, şəkər və kalsium və vitamin D kimi mikronutrientlər ilə zəngin tərkib. Süd həmçinin təmiz su mənbəyidir. Mənsub olduğumuz icmanın yaşadığı yerdən asılı olaraq, bədənimiz bu və ya digər səbəbdən südə qarşı tolerantlıq təkamül etdirib. Laktaz davamlılığının hələ də təkamül prosesində olub-olmadığını və eləcə də daha geniş yayılacağını bilmirik, Swallow deyir. O, 500 il əvvəl qitəyə yeni gələn avropalılarla cütləşmə nəticəsində laktaz davamlılığı qazanan Çilinin Coquimbo ərazisindəki bir qrup pastorialist haqqında 2018-ci ildə yazılan bir məqalənin həm müəllifi olub. Bu xüsusiyyət artıq əhali arasında yayılır: təkamül 5000 il əvvəl avropalılar üçün də eyni seçimi etmişdi. Fransanın təxminən 3000 il əvvəl süd içməyə uyğunlaşan şimal-qərb hissəsində yonca yeyən süd verən inək Lakin bu, son dərəcə xüsusi bir haldır. Çünki Coquimbo-nun əhalisi süd çox içir. Qlobal mənada isə görüntü daha fərqlidir. \"Mən təkamülün stabilləşdiyini düşünürəm, amma bəzi ölkələr süddən son dərəcə asılıdır və başqa qidalar çatışmazlığı var,\" Swallow deyir. \"Biz Qərbdə yaxşı pəhrizlərə malik olduğumuza görə təkamül təzyiqi çox də böyük deyil.\" Süd dəbdən düşürmü? Ötən bir neçə il ərzində süd içənlərin sayının azaldığı müşahidə edilir. 2018-ci ilin noyabrında Guardian qəzeti \"Süd sevgimiz necə azaldı\" (How we fell out of love with milk) adlı bir məqalə dərc edib. Məqalədə heyvan südü ilə müqayisədə yulaf və qozlardan alınan süd növlərinə tələbatın kosmik şəkildə artdığı və ənənəvi südün böyük mübarizə ilə üz-üzə qaldığı təhlil olunub. Lakin statistika başqa şey deyir. IFCN Süd Məmulatları Araşdırma şəbəkəsinin 2018-ci ildəki məlumatlarına əsasən, qlobal süd istehsalı 1998-ci ildən bəri artan tələbat əsasında hər il yüksəlib. 2017-ci ildə dünyada 864 milyon ton süd istehsal olunub. IFCN 2030-cu ilə qədər südə tələbatın 35 faizi, yəni 1168 milyon tona qədər artacağını təxmin edir. Ancaq 2010-cu ildə qida istehlakı üzrə ABŞ-da aparılan bir araşdırmada, süd istehlakının ötən onilliklərlə müqayisədə aşağı düşdüyü ortaya çıxıb. Təəssüf ki, heyvan südünü badam südü yox, qazlı içkilər əvəzləyib. Bu eniş inkişaf etməkdə olan ölkələrdəki artan tələbatla balans təşkil edir. Xüsusilə də Asiya ölkələri ilə. 2015-ci ildə 187 ölkə üzrə insanların içki vərdişləri əsasında aparılan araşdırmada, yaşlı insanların daha çox süd içdiyi ortaya çıxıb. Bu isə südün gənclər arasında daha az populyarlığına dəlalət edir. Lakin araşdırmada gənclərin qatıq kimi süd məhsullarını daha çox istehlak etməsi haqqında heç bir məlumat olmayıb. Süd istehlakı ABŞ-da azalsa da, Asiyada artan tələbat mövcuddur Hələ ki, alternativ süd növlərinin dünyanın artan süd iştahasında böyük fərq yaradacağı zənn edilmir. Ən azından qarşıdakı on il ərzində. Walker, alternativ süd növlərinin heyvan südü üçün \"birə-bir əvəzləyici\" olmadığını əlavə edir. Əsasən də, çoxunun tərkibində eyni mikronutrientlər yoxdur. O deyir ki, həmin südlər veganlar və heyvan südünə allergiyası olanlar üçün əlverişliridr. Südə allergiya isə süddəki proteinə reaksiyadır və laktoza ilə əlaqəsi yoxdur. Badam südü kimi alternativ növlərin tərkibində heyvan südündəki mikronutrientlər yer almır Ən təəccüblüsü isə, laktaz davamlılığı olmayan Asiya əhalisinin südə qarşı artan tələbatıdır. Həmin yerlərin sakinləri üçün südün faydaları hər nədirsə, potensial həzm problemləri və ya süd istehsalına ehtiyac, tərəzinin ağır tərəfində yer alır. Birləşmiş Millətlər Qida və Kənd Təsərrüfatı Təşkilatı inkişaf etməkdə olan dövlətlərin əhalisini lamalar kimi qeyri-ənənəvi süd verən heyvanlar saxlamağa həvəsləndirir. Belə ki, inək süd olmadıqda və ya çox baha olduqda eyni faydaları başqa süddən ala bilərlər. Yanvarda dərc olunan böyük bir araşdırmada, sağlamlığı artıran və ətraf-mühitə təsiri azaldan \"planetar sağlamlıq pəhrizindən\" bəhs olunub. Yazıda qırmızı ət və digər heyvan məhsullarının azaldılması təbliğ olunsa da, gündə bir stəkan süd içməyə ekvivalent məlumat yer almayıb. Görünən budur ki, süd nə azalıb, nə də tamamilə pəhrizlərdən çıxıb. Orqanizmlərimiz ona cavab olaraq təkamülü dayandırıbsa da belə, tələbat azalmayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50817708", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-50739443", "doc1": "তারা বলছেন, একটি পিৎজা ক্যালোরি পোড়াতে চার ঘণ্টা হাঁটতে হয় এবং একটি চকলেট বার খেলে তার ক্যালোরি পোড়াতে ২২ মিনিট দৌড়াতে হয়- এ ধরণের তথ্য খাবারের জ্বালানি ব্যয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে। প্রাথমিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারের মোড়কে এ ধরণের লেবেল থাকলে তা মানুষকে কম পরিমাণ ভোগ করতে উৎসাহিত করবে। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গঠনকে উৎসাহিত করা। লফবারো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যারা এ ধরণের অন্তত ১৪টি গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন তারা বলছেন যে, মোড়কের গায়ে এ ধরণের লেবেলিং থাকলে একজন ব্যক্তি দৈনিক অন্তত ২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করেন। ক্যালোরি কী? •একটি খাদ্যদ্রব্য বা পানীয় থেকে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয় ক্যালোরি দিয়ে। •একজন পুরুষের দৈনিক ২৫০০ কিলোক্যালোরি এবং একজন নারীর দৈনিক ২০০০ কিলোক্যালোরি দরকার হয় তাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখার জন্য- শ্বাস নেয়া থেকে শুরু করে দৌড়ানো পর্যন্ত সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত। •যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে দেহে স্থূলতা দেখা দেয় কারণ অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়। •এমনকি প্রতি দিন একটু একটু বেশি খেলেও তা জমা হয়। এটা হয়তো খুব বেশি কিছু মনে হচ্ছে না, তবে এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ জার্নালে গবেষকরা বলেছেন যে, সারা দেশে স্থূলতা বৃদ্ধির উপর এর প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অতিরিক্ত ওজন কিংবা স্থূলতা রয়েছে। প্রধান গবেষক অধ্যাপক আমান্ডা ডালি বলেন, \"আমরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, তারা যা খাচ্ছে অর্থাৎ তারা যাতে তাদের খাবার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকে।\" খাবারে লেবেলে যদি \"ব্যায়াম ও ক্যালোরি\" সম্পর্কিত তথ্য থাকে তাহলে মানুষ বুঝতে পারে যে তারা কি খাচ্ছে এবং তা তাদেরকে খাবারের ব্যাপারে আরো ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অধ্যাপক ডালি বলেন, অনেক মানুষ বুঝতে পেরে অবাক হবে যে, কিছু কিছু স্ন্যাকস বা নাস্তায় থাকা ক্যালোরি ঝরাতে তাদেরকে কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। \"আমরা জানি, খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি আছে তা মানুষ প্রায়ই অবজ্ঞা করে থাকে,\"তিনি বলেন। আরো পড়ুন: কর্মচারীর প্রেমে পড়ে চাকরি গেল ম্যাকডোনাল্ডস বসের জর্জ বুশ পিৎজা খাওয়ালেন তাঁর নিরাপত্তা দলকে ফুচকা উৎসবে ঢাকার খাদ্য রসিকদের ভিড় \"তাই উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি চকলেট মাফিন কেনেন এবং এতে যদি ৫০০ ক্যালোরি থাকে তাহলে এটি ঝরাতে আপনাকে ৫০ মিনিট দৌড়াতে হবে।\" \"এটা অবশ্যই ডায়েটিংয়ের বিষয় নয়।\" \"এটা মানুষকে জানানো যে আপনি যখন খাবার খান তখন এর একটি জ্বালানি খরচ আছে, যাতে তারা এ নিয়ে চিন্তার সুযোগ পায় 'আমি কি আসলেই এই চকলেট কেক ঝরাতে দুই ঘণ্টা পরিশ্রম করতে রাজি আছি?' এই চকলেট কেকটি কি আসলেই তার জন্য উপযুক্ত?\" ঝুঁকি বাড়াতে পারে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দ্য রয়্যাল সোসাইটি যত শিগগির সম্ভব এই লেবেল চালু করতে চাইছে এবং তারা মনে করছে যে, অনেক ভোক্তাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন। তারা বলছে, \"এ ধরণের লেবেলিং একজন ব্যক্তির শক্তি খরচের প্রেক্ষিতে তার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে চিত্রিত করে এবং এর মাধ্যমেই আমরা যে রেকর্ড পরিমাণ স্থূলতার মুখে পড়েছি তা আংশিকভাবে হলেও ব্যাখ্যা করা যায়।\" \"ছোট পদক্ষেপও ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।\" অধ্যাপক ডালি আশা করেন যে, খাবারের কোন একটি বড় কোম্পানি বা ফুড চেইন হয়তো তাদের পণ্যে নতুন এই লেবেল নিয়ে আসতে রাজি হবে যাতে করে এই ব্যবস্থাকে \"বাস্তব ক্ষেত্রে\" পরীক্ষা করা যায়। তবে খাবারকে এ ধরণের লেবেলিং করা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে। ইটিং ডিসঅর্ডার চ্যারিটি বিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী টম কুইন বলেন, \"যদিও আমরা স্থূলতা কমিয়ে আনার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি, তবুও যারা খাবার খাওয়া সংক্রান্ত জটিলতা বা ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন তাদের জন্য খাবারে এ ধরণের লেবেলিং ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।\" \"আমরা জানি যে, যাদের ইটিং ডিসঅর্ডার রয়েছে তারা এমনিতেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করা নিয়ে সমস্যায় থাকেন, তাই তাদেরকে যদি বলা হয় যে নির্দিষ্ট ধরণের খাবার খেলে কি পরিমাণ ব্যায়াম করতে হবে তাহলে তা তাদের লক্ষণকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।\"", "doc2": "Onlar deyir ki, bir pizzadan alınan kalorini əritmək üçün dörd saat yerimək və ya bir kiçik qutu şokoladın kalorisini əritmək üçün 22 dəqiqə qaçmaq lazım gəldiyi nəzərə alınarsa, bu, qidaların enerji dəyəri haqqında maariflənməyə səbəb olar. Kəşfiyyat tədqiqatları göstərir ki, qidaların üzərindəki etiketlər insanlara daha az həzz verəcək. Məqsəd isə piylənmə ilə mübarizə aparmaq üçün sağlam yemək vərdişlərini təşfiq etməkdir. 14 araşdırmaya əsaslanan Loughborough Universitetinin tədqiqatçıları qidaların üzərindəki etiketlərin insanın günlük qida qəbulunu təxminən 200 kalori azaldacağını düşünürlər. Tədqiqatçılar Epidemiologiya və İcma Sağlamlığı jurnalında deyirlər ki, bu, çox görünməyə bilər, lakin ölkədə boyu piylənmə səviyyəsinə təsir göstərəcək. Aparıcı tədqiqatçı professor Amanda Daley deyir: \"Biz cəmiyyətin nə yediyi ilə bağlı yaxşı qərar verməsinin müxtəlif yolları ilə maraqlanırıq, eləcə də, onların daha çox fiziki aktivliyininə çalışırıq\". Kalori haqqında: Professor Daley deyir ki, bir çox insanlar konkret qidalardan alınan kaloriləri əritmək üçün nə qədər fiziki hərəkət lazım olduğunu biləndə təəccüblənəcəklər. \"Biz bilirik ki, insanlar müntəzəm olaraq qidaların kalorilərini daha aşağı qiymətləndirirlər. Əgər sən şokoladlı maffin keksini alırsansa, bu, 500 kaloridir və onu əritmək üçün 50 dəqiqə qaçmaq lazımdır\". Professor deyir ki, bu üsul pəhriz saxlamaq üçün yox, insanları maarifləndirmək üçündür. \"Bu, insanları qəbul etdikləri qidaların enerji dəyəri haqqında maarifləndirmək üçündür. İnsanlar özlərinə \"Mən həqiqətən də bu şokoladlı keksi əritmək üçün iki saat xərcləmək istəyirəmmi? Şokoladlı keks buna dəyərmi\" suallarını verə bilərlər\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40811008", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40815096", "doc1": "সুনিতা দেবী বলছেন ওই হামলার কথা তিনি ভুলতে পারছেন না। পুলিশও এই রহস্যের কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না, রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে তাদের। এই রহস্যেঘেরা 'চুল চোর' কে নিয়ে দুই রাজ্যের নারীদের মধ্যে যে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন বিবিসির বিকাশ পান্ডে। \"হঠাৎ একদিন তীব্র আলোর ঝলকানি আমাকে অচেতন করে দেয়। এক ঘন্টা পর জেগে দেখি আমার চুল কেটে নেওয়া হয়েছে,\" বলেন সুনিতা দেবী। তাঁর বয়স ৫৩ বছর। হরিয়ানার গুরগাঁও জেলার ভিমগড় খেরির এই গৃহিনী শুক্রবারের ওই হামলার 'মানসিক আঘাত' ভুলতে পারছেন না। তিনি না পারছেন ঘুমাতে, কোনো কিছুতে মনোযোগও দিতে পারছেন না। সুনিতা দেবী যে এলাকায় থাকেন সেটি মূলত ব্যবসায়ী এবং কৃষক অধ্যুষিত এলাকা। তিনি অভিযোগ করেছেন, চুল কেটে নেওয়া বয়স্ক পুরুষ চোরের পরনে ছিল উজ্জ্বল রংয়ের কাপড়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিচতলায় একা ছিলেন সুনিতা; ছেলের বউ আর নাতি ছিলেন দোতলায়। অথচ কেউই কিছু শুনতে পায়নি। তারা যে গলিতে থাকেন সেখানে আরও প্রায় বিশটির মতো ঘর আছে। রাত নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়িতে লোক গমগম করে বলে জানান প্রতিবেশিরা, রাতের খাবারের পর সবাই কথা বলে বা বিশ্রাম করে। \"শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু প্রতিবেশিদের কেউই সুনিতা দেবীর বাসায় কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেখেনি\" বলেন মুনেশ দেবী। ফলে, রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পরদিন একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মুনেশ দেবী বলেন- 'চুল চোর'কে নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুনিতা দেবীর বাসার কয়েক গজ দূরে থাকেন গৃহকর্মী আশা দেবী; তিনিও রাতের আঁধারে তাঁর চুল হারান। কিন্তু এবারের হামলাকারী পুরুষ নন, একজন নারী। আশা দেবীর শ্বশুর জানান, হামলার পরদিনই ছেলের বউসহ বাড়ির সব নারীকে উত্তর প্রদেশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চুল কেটে নিয়ে যাওয়া এই 'ভুতুরে নাপিত' প্রথম দেখা যায় রাজস্থানে, জুলাই মাসে। এরপর থেকে হরিয়ানা এমনকি রাজধানী দিল্লিতেও এই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে 'চুল চোর' কে নিয়ে নানা ধরনের গল্প চালু করে দিয়েছেন অনেকে। কারো মতে, সংঘবদ্ধ কোনো চক্র এমন হামলার সঙ্গে জড়িত। আবার কারও মতে, তান্ত্রিক বা ডাইনিরা বেছে বেছে নারীদের চুল কাটছেন। কারও বিশ্বাস, এসব ঘটনায় জড়িয়ে আছে 'অতিপ্রাকৃত শক্তি'। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: দিল্লিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৬০ বছর বয়সী সুন্দার দেবীর ওপর 'চুল চোর' আক্রমণ চালায় শনিবার রাতে। অনেকে আবার বলছেন, নারীরা গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নিজেরাই নিজেদের চুল কাটছেন। যুক্তিবিদ সানাল এদামারুকুর মতে এটি হচ্ছে 'গণ-হিস্টিরিয়া'র চমৎকার উদাহরণ। তবে যে যাই বলুক না কেন রাজস্থানের একের পর এক গ্রামের নারীরা চুল চুরি নিয়ে বেশ আতঙ্কেই আছেন। গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র রাভিন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তারা এসব ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,\"এগুলো সব অদ্ভুত ঘটনা। ঘটনাস্থলে কোনো আলামত পাইনি, হামলার শিকারদের মেডিকেল রিপোর্টেও কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি; অন্য কেউ হামলাকারীকে দেখেওনি।\" বিভিন্ন জেলার পুলিশ সম্মিলিতভাবে এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানান মি: রাভিন্দ্র। জনসাধারণকে এ বিষয়ক গুজবে কান না দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দিল্লির অনেক নারী চুল রক্ষা করার জন্য খোঁপায় দেবিখচিত ব্যান্ড ব্যবহার করেন।", "doc2": "Sunita Devi deyir ki, hücumdan sonra hələ də özünə gələ bilməyib Qadınlar vahimə içində, polis bu təəccüblü hadisələrdən baş çıxarmağa çalışır, BBC-dən Vikas Pandey deyib. \"Güclü bir işıq parıltısı yadımdadır və mən huşumu itirdim. Bir saatdan sonra anladım kı, kimsə saçlarımı kəsib,\" - Haryananın Gurgaon dairəsindən olan Sunita Devi, 53-yaşlı evdar qadın deyir. O, hələ də cümə günü baş vermiş \"hücumun\" təsirindən özünə gələ bilməyib. \"Yata bilmirəm, diqqətimi cəmləşdirə bilmirəm. Oxumuşam ki, belə hadisələr Racastanda da baş verib, lakin belə bir hadisənin mənim də başıma gələcəyini təsəvvürümə belə gətirə bilməzdim\", - Sunita deyir. \"Kabus bərbərlər\" haqqında xəbərlər ilk olaraq iyul ayının əvvəlində yayılmağa başlayıb. Buna bənzər hadisələrin sonradan Racastanda, Haryanada və hətta paytaxt Dehlidə də baş verdiyi barədə xəbərlər gəlib. Heç kim heç nə görməyib Sunita Devi bir böyük ailə kimi olan fermer və tacirlərin icmasında yaşayır. Qonşulardan bəziləri Sunita şokdan özünə gələnədək, növbə ilə onun yanında olur, ona baxır. Sunitanın təbirincə, ona hücum edən, \"əyninə əl-əlvan paltar geymiş\" yaşlı kişi olub, \"Mən evin aşağı mərtəbəsində tək idim, gəlinim və nəvəm isə hücum baş verəndə yuxarıda idilər. Hücum 21:30 radələrində baş vermişdi\", - o deyir. Gəlini və nəvəsi heç nə eşitməyiblər və görməyiblər. Muniş Devi bildirib ki, hücum edəni qonşular görə bilməyib Sunita Devinin qonşusu Muniş Devi deyir ki, 20-dək evin yerləşdi dar döngə adətən 21:00-dən 22:00-dək qonşularla dolu olur. \"Camaat nahardan sonra bir araya gəlib söhbətləşir, dincəlir. Cümə günü də həmişəki kimi olub. Lakin bizlərdən heç kim heç nə görməyib, Sunitanın mənzilinə özgə kimsə gələn və ya oradan çıxan gözə dəyməyib\", - Muniş deyir. Əhvalatın davamı Səhərisi gün buradan cəmi bir neçə metr aralıda, evdar qadın Aşa Devi bənzər hadisə nəticəsində saçlarının kəsilməsinə məruz qalır. Bu dəfə, deyildiyinə görə, hücum edən qadın olur. Aşa Devinin qayınatası Surac Pal deyir ki, bu insidentdən sonra o, Aşanı və ailədəki digər qadınları Uttar Pradeş ştatındakı qohumlarının evinə göndərir. \"Qadınlar vahimə içində idi, onları başqa yerə bir neçə həftəlik göndərdim\", - o deyir. Surac Pal deyir ki, Aşa Devi ev işlərini bitirmək üçün bayıra çıxanda saat 22:00 radələri idi. \"Artıq 30 dəqiqə keçmişdi, gəlb çıxmırdı, ona görə, getdim baxım haradadır. Biz onu hamamda huşsuz vəziyyətdə tapdıq. Kəsilmiş saçları döşəməyə səpələnmişdi\", - Surac Pal deyir. Hücumların Dehli şəhərində də baş verdiyi deyilir Onun sözlərinə görə, Aşa bir saatdan sonra özünə gəlib və deyib ki, üstünə hücum edən qadın olub. \"Onun dediyinə görə, hər şey 10 saniyənin içində baş verib,\" - o bildirib. Gurgaon-dan təxminən 70 km məsafədə yerləşən Revari bölgəsinin kənd ərazilərində mənə buna bənzər hadisələrin baş verdiyini danışdılar: \"Kütləvi isteriya\" Gurgaon polisinin sözçüsü Ravinder Kumar deyir ki, şikayətlər araşdırılır. \"Bu hadisələr təəccüb doğurur. Hadisə yerlərində şübhəli bir şey aşkar olunmayıb, hücuma məruz qaldıqlarını deyənlərin tibbi müayinəsi anormallıq sayıla biləcək nə isə aşkar etməyiblər,\" - o deyib, Sözçü əlavə edib ki, iddia edilən hücumçuları görən olmayıb. Ravinder Kumarın sözlərinə görə, nəyin baş verdiyini anlamaq məqsədilə müxtəlif dairələrin polis qurumları bu istiqamətdə səylərini əlaqələndirirlər. \"Yalnız hücuma məruz qaldıqlarını iddia edənlər hücum edəni gördüklərini deyirlər. Biz bu məsələni axıradək araşdırıb, həqiqəti üzə çıxarmaq niyyətindəyik. Lakin ona qədər hamını şayiələrə uymamağa çağırırıq\", - o qeyd edib. Sundar Devi hadisədən sonra yatağından qalxmadığını deyir Dehlidə bəzi qadınlar saçlarını qorumaq üçün tanrı şəkli təsvir olunmuş sancaqlar taxırlar Şayiələr isə kəsilmək bilmir. Bir kənddən o birisinə gedərkən, baş verənlərin fərqli izahatını eşidirdim. Kəndlərdən birində, ağsaqqal bir kişi mənə dedi ki, bu işdə mütəşəkkil dəstələrin barmağı var. Digər birisi isə dedi ki, onun qənaətincə, bu hücumların arxasında falçılar, cadugərlər və ya türkəçarə üsullarla camaata təbiblik edənlər durur, çünki belə hadisələrdən sonra camaat məhz onlara müraciət edir. Bir qadın təkid edirdi ki, məsələyə\"fövqəltəbii\" qüvvələr qarışıb. Digərləri isə, \"qurbanları\" özlərinə diqqəti cəlb etmək üçün saçlarını kəsməkdə ittiham edirdi. Yazıçı-rasionalist Sanal Edamaruku BBC-ə bildirib ki, onun fikrincə, bütün bu hallar \"kütləvi isteriyanın\" klassik nümunəsi sayıla bilər. \"Heç bir möcüzədən söhbət gedə bilməz. Hücuma məruz qaldıqlarını iddia edən qadınlar, görünür, hansısa daxili psixoloji ixtilafdan əziyyət çəkirlər, - o deyir. - Onlar belə əhvalatları eşidəndə, özlərinin də xəbəri olmadan həmin situasiyaları təkrarlamağa çalışırlar\". Lakin Rina Devi məsələnin belə qoyuluşu ilə razılaşmır. \"İllərlə saç uzatmışam, saçlarımdan zövq alırdım. İndi isə. Saçlarım kəsildikdən sonra, nə çəkdiyimi heç təsəvvür belə etmək mümkün deyil. Qadınların, saçlarını özləri kəsdiyini demək cəfəngiyyatdan başqa bir şey deyil\", - o deyir. Hindistanda digər kütləvi isteriya halları"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44196015", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-44159204", "doc1": "বয়সের সাথে সাথে আড়ষ্ঠ হতে থাকে ধমনী নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন শরীরচর্চায় সবগুলো ধমনীকে সতেজ রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রয়োজন অন্তত চারদিন। পাঁচদিন করতে পারলে সবচেয়ে ভালো কাজ দেবে। গবেষকরা বলছেন, যে কোনো ধরণের শরীরচর্চা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু উপযুক্ত বয়সে প্রয়োজনীয় মাত্রায় শরীরচর্চা করলে হৃদপিণ্ড,ধমনী এবং শিরা-উপশিরা নতুন করে সতেজ করে তোলা সম্ভব। ষাটোর্ধ বয়সের ১০০ মানুষের ওপর এই গবেষণার পর এর ফলাফল জার্নাল অব ফিজিওলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ এবং পুনরায় বের করে তা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভূমিকা পালন করে বেশ কিছু ধমনী। আরো পড়তে পারেন: মোটা হলেই কি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে? এই ধমনীগুলোর আকৃতি নলের মত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এগুলো আড়ষ্ট হতে থাকে। এছাড়া, বিশৃঙ্খল এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ধমনীতে চর্বির আস্তরণ পড়তে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন (৩০ মিনিট করে) শরীরচর্চা করলে মাঝামাঝি আকৃতির যেসব ধমনী মাথায় ও ঘাড়ে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলো সতেজ থাকে। কিন্তু সপ্তাহে চার থেকে পাঁচদিন শরীরচর্চা করলে মাঝারি ধমনীগুলোর সাথে সাথে প্রধান যে ধমনীগুলো বুকে এবং পেটে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলোও সতেজ থাকে। তবে এই গবেষণায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা এবং সামাজিক অবস্থানের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বলা হয়, এ বিষয়গুলোও দেহের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ইনস্টিটিউট অব এক্সারসাইজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিনের ড বেঞ্জামিন লেভিন, যিনি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেন, \"আমরা এখন বুঝতে পারছি উপযুক্ত শরীরচর্চা করে হৃদপিণ্ড এবং রক্তবাহী নালীর দুরবস্থাকে বদলে ফেলা যায়।\" তবে তিনি বলেন, ৭০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা বেশি দেরী হয়ে যায়। \"ঐ বয়সে হৃদপিণ্ডের অবস্থা বদল করা সম্ভব নয়।\" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: নারীর পেটে যেভাবে এলো একশোর বেশি কোকেন ক্যাপসুল যে দ্বীপে ১২ বছর পর প্রথম কোন শিশুর জন্ম হিটলার কি আসলেই ১৯৪৫ সালে মারা গিয়েছিলেন?", "doc2": "60 yaşlarında olan 100 nəfər üzərində aparılan araşdırma göstərib ki, həftədə iki-üç dəfə idmanla məşğul olmaq ancaq bəzi damarları sağlam saxlaya bilir. Araşdırmaçılar deyir ki, idmanın istənilən növü ürək problemləri riskini azaldır. Lakin düzgün zamanda düzgün həcmdə edilən idman ürəyi və qan damarlarını cavan saxlaya bilər. \"The Journal of Physiology\" jurnalında çap olunan araşdırmada iştirakçıların bütün ömürləri boyu etdikləri idman tarixçəsinə baxılıb və onların arteriyalarının sərtliyi ölçülüb. Arteriya qanı ürəyə, eləcə də ürəkdən bütün bədənə aparan damardır. Arteriya boru şəklindədir və yaşlandıqda sərtliliyə meyllidir. Qeyri-sağlam həyat tərzi arteriaların yağlarla bloklanmasına səbəb olur. ABŞ araşdırmaçıları belə nəticəyə gəlib ki, ömür boyu həftədə iki-üç dəfə (hər biri 30 dəqiqə olmaqla) idman etmək, baş və boyunu qanla təmin edən orta ölçülü damarların daha cavan saxlayır. Daha böyük ölçülü damarlar qanı sinə və qarına aparır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49227263", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-49227445", "doc1": "ব্রিটেনের এই ট্যাংকারটিকে আটক করে রেখেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, তাদের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগর থেকে ট্যাংকারটি আটক করেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে ওই ট্যাংকারে করে কিছু আরব দেশে তেল পাচার করা হচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ট্যাংকারটিতে সাত লাখ লিটার জ্বালানী ছিল। তবে ট্যাংকারটি কোন দেশের এবং নাবিকরা কোন দেশের নাগরিক সেসব বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। ইরানি বার্তা সংস্থা বলছে, উপসাগরীয় ফারসি দ্বীপের কাছ থেকে ট্যাংকারটি আটক করা হয় বুধবার। তারপর এটিকে বুশেহের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান ও ব্রিটেনের দুটো ট্যাংকার একে অপরের হাতে আটক হওয়ার পর এনিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ১৩ই জুলাই ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ একটি ট্যাংকার আটক করে নিয়ে যায়। অভিযোগ করা হয় যে মাছ ধরার একটি নৌকার সাথে সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ভঙ্গ করার কারণে পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকারটিকে জব্দ করা হয়েছে। সেসময় ব্রিটেনের একটি রণতরীও ছিল ট্যাংকারটির পেছনে। কিন্তু সেটি ইরানি সৈন্যদের হাত থেকে ট্যাংকারটিকে রক্ষা করতে পারেনি। তারও আগে জিব্রাল্টারের কাছে ইরানি একটি ট্যাংকার আটক করে ব্রিটেন। অভিযোগ করা হয় যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে ইরান ওই ট্যাংকারে করে সিরিয়ায় তেল নিয়ে যাচ্ছিল। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ইরানি ট্যাংকারের ভেতরে ব্রিটিশ সৈন্যরা। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করলো ইরান ইরানে অস্থিরতা কি তেলের দাম বাড়াতে পারে? ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? যুক্তরাষ্ট্রও অভিযোগ করেছে যে এর আগে আরো দুটো ট্যাংকারে ইরানি সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন বলছে, গত মে ও জুন মাসে বিস্ফোরক দিয়ে দুটো ট্যাংকারে চালানো হামলায় সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব অভিযোগ তেহরান সবসময়ই অস্বীকার করেছে। একই সাথে ইরান হরমুজ প্রণালীর আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোনও গুলি করে নামিয়েছে। ইরানের সাথে সাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওয়াশিংটন ইরানের তেল খাতের ওপর নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যেই পাল্টাপাল্টি এসব ট্যাংকার আটকের ঘটনা ঘটে। সবশেষ এই ট্যাংকার আটকের বিষয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ওয়েবসাইট সেপাহ নিউজে বলা হয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের নৌবাহিনীর টহলের সময় পাচারে লিপ্ত ট্যাংকারটিকে আটক করা হয়েছে। বিবিসির আরব বিষয়ক সংবাদদাতা সেবাস্টিয়ান উশার বলছেন, এই ট্যাংকারটি আকারে ছোট হলেও এ‌ ঘটনা যে ওই অঞ্চলের উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেবে সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০জন নিহত যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বন্দুক হামলা, নিহত ৯ ইতিহাসের 'সবচেয়ে উষ্ণতম' মাস দেখলো বিশ্ববাসী", "doc2": "Ötən ay İran eləcə də Britaniya bayrağı altında üzən Stena Impero tankerini saxlayıb \"Fars körfəzində bəzi ərəb dövlətləri üçün yanacaq qaçaqmalçılığı edən bir xarici tanker ələ keçirilib\", - İnqilab Keşikçiləri Korpusu komandirinin söylədiyi bu sözləri mətbuat iqtibas edib. Media məlumatlarına əsasən, göyərtəsində yeddi dənizçi olan saxlanılmış tankerdə 700000 litr yanacaq aşkar olunub. Bu insident ABŞ-ın İranın neft sektoruna qarşı sanksiyaları sərtləşdiməsinin ardınca yaranmış gərginlik fonunda baş verib. Iran bundan əvvəl, iyulun 13-də Panama bayrağı altında üzən MT Riah gəmisini saxlayıb. İnqilab Keçikçilərinin Sepah News vebsaytı bildirmişdi ki, həmin gəmi \"mütəşəkkil qaçaqmalçılığın aşkar edilməsi və qaçaqmalçılığa qarşı\" görülən tədbirlər zamanı saxlanılıb. Ötən ay İran eləcə də Britaniya bayrağı altında üzən Stena Impero tankerini Hörmüz boğazında balıqçı gəmiylə toqquşduğunu bildirərək saxlayıb. ABŞ İranı may ayında Oman körfəzində neft tankerlərinə iki hücum keçirməkdə ittiham edir - Tehran həmin ittihamları rədd edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47844910", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47801284", "doc1": "পশ্চিম তীরে গড়ে তোলা ইহুদী বসতিগুলো আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। মঙ্গলবার ইসরায়েলে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মিস্টার নেতানিয়াহুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সঙ্গে - যারা চায় পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ইসরায়েল নিজের সীমানার মধ্যে ঢুকিয়ে নিক। পশ্চিম তীরে ইসরায়েল যেসব ইহুদী বসতি গড়ে তুলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেগুলো অবৈধ। তবে ইসরায়েল তা মনে করে না। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে যে গোলান মালভূমি দখল করে নেয়, সেটিকে নিজের সীমানায় ঢুকিয়ে নিয়েছিল আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে। গতমাসে যুক্তরাষ্ট্র গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের ভূমি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। পশ্চিম তীরের ইহুদী বসতিগুলোতে প্রায় চার লাখ ইহুদীকে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে ইসরায়েল। পূর্ব জেরুসালেমেও একই ভাবে ২০ হাজার ইহুদীর জন্য বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। পশ্চিম তীরে থাকে প্রায় ২৫ লাখ ফিলিস্তিনি। যে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে ফিলিস্তিনিরা, সেটি হওয়ার কথা পশ্চিম তীর এবং গাজা ভূখন্ড নিয়ে। আর তাদের রাজধানী হওয়ার কথা পূর্ব জেরুসালেম। ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত নিরসনে যে কোন শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিতর্কিত একটি ইস্যু হচ্ছে পশ্চিম তীরের এসব বিতর্কিত ইহুদী বসতি। ফিলিস্তিনিরা মনে করে, এই ইহুদী বসতিগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা। এগুলো একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারটিকে রীতিমত অসম্ভব করে তুলেছে। কী বলেছেন নেতানিয়াহু একটি ইসরায়েলি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করা হয় কেন তিনি পশ্চিম তীরের বিরাট ইহুদী বসতির পর্যন্ত ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করছেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন বেপরোয়া করে তুলেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জবাবে তিনি বলেন, \"আপনি জানতে চাইছেন আমরা পরবর্তী ধাপে যাচ্ছি কীনা। আমার উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ, আমরা পরবর্তী ধাপের দিকে যাবো।আমি ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করবো এবং আমি গুচ্ছ বসতি এবং বিচ্ছিন্ন বসতির মধ্যে কোন তফাৎ করি না। \" ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া কী? একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সায়েব এরেকাত বলেছেন, ইহুদী বসতির প্রশ্নে মিস্টার নেতানিয়াহু যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, \"যতদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্টের ট্রাম্প প্রশাসন, ইসরায়েলকে যা খুশি তা করার সুযোগ দিয়ে যাবে, ততদিন তারা নির্লজ্জভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে যাবে। যেভাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে, তার জন্য ইসরায়েলকে বরং উল্টো পুরস্কৃত করা হচ্ছে।\" ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ইসরায়েলি সৈন্যকে চড় মেরে ঝড় তুলেছে এক কিশোরী ফিলিস্তিনি যুবকের ছবি যেন দেলাক্রোয়ার পেইন্টিং ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, \"যে ঘোষণা বা যে পদক্ষেপই নেয়া হোক, তাতে সত্য বদলাবে না। এই ইহুদী বসতিগুলো অবৈধ এবং এগুলো অপসারণ করা হবে।\" 'বিস্ফোরক মন্তব্য' বিবিসির আরব বিষয়ক বিশ্লেষক সেবাস্টিয়ান আশার বলছেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদী বসতি সম্পর্কে যা বলেছেন, তা সম্ভাব্য মারাত্মক গণবিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। কারণ বহু বছর ধরে এই ইস্যুতেই শান্তি প্রক্রিয়া বার বার থমকে গেছে। তিনি বলছেন, মিস্টার নেতানিয়াহু যেসব দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে চাইছেন, তারা এই কথা শুনে বেশ খুশি হবে। কিন্তু এটি ফিলিস্তিনিদের মারাত্মক বিক্ষুব্ধ করে তুলবে। এটি আন্তর্জাতিকভাবেও নিন্দিত হবে। নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিকে আরও বিস্ফোরণমুখ করে তুলতে পারে সেবাস্টিয়ান আশার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে হয়তো বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর পেছনে রাজনীতিটা কী? বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টির সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে নীল এবং সাদা জোটের। কিন্তু অন্য অনেক ছোট ছোট দক্ষিণপন্থী দল আছে, যাদের সমর্থন হয়তো পরবর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। লিকুদ পার্টির ২৯ জন এমপির মধ্যে মিস্টার নেতানিয়াহু ছাড়া আর সবাই চান, ইহুদী বসতিগুলোর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। এতদিন পর্যন্ত মিস্টার নেতানিয়াহু ছিলেন একমাত্র ব্যতিক্রম। এখন মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তিনিও তার অবস্থান বদলাচ্ছেন।", "doc2": "Israil Şərqi Qüds daxil olmaqla, Qərb Sahilində 100-dən çox yəhudi məskəni yaradıb. İsraildə seçkilər çərşənbə axşamı keçiriləcək və Benjamin Netanyahu Qərb Sahilinin bir qisminin ilhaqına çağıran sağçı partiyalarla rəqabət aparacaq. Beynəlxalq qanunvericiliyə görə, həmin yəhudi məskənlər qanunsuzdur, lakin İsrail bunu qəbul etmir. Ötən ay ABŞ İsrailin 1967-ci ildə Suriyadan qoparıb işğal etdiyi Colan təpələrini İsrail ərazisi kimi tanıyıb. Qərb Sahili məskənlərində Israil təxminən 400000-dək yəhudi yerləşdirib. Daha 200000 yəhudi Şərqi Yerusəlimdə (Qüds) yaşayır. Qərb Sahilində 2,5 milyonadək fələstinli yaşayır. Fələstinlilər işğal olunmuş Qərb Sahilində, Şərqi Qüdsdə və Qəzza Zolağında Fələstin dövləti yaratmaq istəyirlər. Yəhudi məskənlərilə bağlı məsələ İsraillə fələstinlilər arasında ən ziddiyyətli problemlərdən biri sayılır - fələstinlilər qeyd edir ki, məskənlərin mövcudluğu gələcək müstəqil dövlətin yaradılmasını mümkünsüz edir. İsrail isə bildirir ki, fələstinlilər məskənlərlə bağlı məsələdən sülh danışıqlarından yayınmaq üçün istifadə edirlər. Benjamin Netanyahu tutduğu vəzifəyə yenidən seçilmək istəyir. İsrail televiziyasına müsahibə verən Benjamin Netanyahu-ya Qərb sahilindəki məskənlərə nəyə görə İsrail suverenliyi şamil edilmir sualı verilərkən, onun cavabı belə olub: \"Siz məndən növbəti mərhələyə keçəcəyimizi soruşursunuz - buna \"bəli, keçəcəyik\" deyərək cavab verirəm\". Yüksəkvəzifəli Fələstin rəsmisi Saib Ərəkat Benjamin Netanyahu-nun cavabının \"sürpriz\" olmadığını qeyd edib. Fələstin lideri Mahmud Abbasın rəsmi nümayəndəsi isə Reuters-ə deyib ki, bu cür hərəkətlər və bəyanatlar faktları dəyişməyəcək. \"Məskənlər qanunsuzdur və onlar ləğv olunacaq\", - Fələstin liderinin sözçüsü bildirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40467752", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40469339", "doc1": "অবশেষে বিয়ে: ২৫ বছরের প্রেমের পর তারপর অনেক সময় গড়িয়েছে। নিজের শহর ছেড়ে মেসি চলে গেছেন অন্য একটি দেশের অন্য একটি শহরে। হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। কিন্তু তারপরেও এতো দীর্ঘ সময় তাদের প্রেম অক্ষুণ্ণ ছিলো। এরই মধ্যে তাদের দুটো সন্তানও হয়েছে। আরো পড়ুন: গুলশান হামলার এক বছর: যেভাবে কেটেছিল ভয়াল সেই রাত হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার এক বছর: এখনো শঙ্কা কাটেনি অবশেষে সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের বিয়ের কাজটাও সেরে ফেললেন। মেসির নিজের শহর রোসারিওর একটি বিলাসবহুল হোটেলে বেশ ঘটা করেই বিয়ের এই অনুষ্ঠান হয়েছে। এবং বলা হচ্ছে, \"এটি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে।\" মেসির বয়স এখন ৩০ আর স্ত্রী রোক্কুসুর ২৯। কয়েকজন অতিথি ফুটবলার জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ২৬০ জন। তাদের মধ্যে ফুটবল স্টারসহ অন্যান্য সুপরিচিত নামী দামী ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ খেলোয়াড় লুইস সোয়ারেজ, নেইমার, জেরার্ড পিকে এবং তার স্ত্রী, কলম্বিয়ার পপ স্টার শাকিরা। অতিথিদের অনেকে তাদের ব্যক্তিগত জেট বিমানে করেও আসেন বিয়েতে যোগ দিতে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে কয়েকশো পুলিশও মোতায়েন করতে হয়েছিলো। আর্জেন্টিনার একটি পত্রিকায় এই বিয়েকে 'বর্ষসেরা বিবাহ', \"শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে' বলেও উল্লেখ করেছে। অতিথিদের অনেকে আসেন তাদের ব্যক্তিগত বিমানে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেখতে লোকজন বিমানবন্দর ও হোটেলের আশেপাশেও ভিড় করেছিলো। তাদেরকে সামাল দিতে নিরাপত্তা সদস্যদেরকে হিমশিম খেতে হয়েছে। দেড়শোর মতো সাংবাদিককেও এক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছিলো। তাদের জন্যে নির্ধারিত ছিলো বিশেষ একটি প্রেস এরিয়া। অনুষ্ঠানের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি তাদেরও ছিলো না। হবু স্ত্রী রোক্কুসু মেসির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর কাজিন। তার ওই বন্ধুও পরে ফুটবলার হয়েছিলেন। রোক্কুসুর সাথে পরিচয়ের পর মেসি ১৩ বছর বয়সে স্পেনে চলে যান। কারণ তিনি বার্সেলোনায় খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু শর্ত ছিলো যে এজন্যে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবটিকে মেসির হরমোন-জনিত চিকিৎসার খরচ যোগাতে হবে। এর আগে মেসি অনেকবারই বলেছেন, তার প্রেমিকা ও সাবেক ফুটবল ক্লাবকে পেছনে ফেলে তার স্পেনে চলে আসতে কতোটা কষ্ট হয়েছিলো। ভক্তদের ভিড় বিয়ের আগে থেকেই এই যুগল একই ছাদের নিচে বসবাস করছিলেন এবং বার্সেলোনা শহরেই। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ২১ মাসের সাজা হওয়ার কয়েকদিন পরেই মেসি বিয়ে করলেন। ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন মেসি। কিন্তু তার সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে জেলে যেতে হবে না। কারণ জরিমানার অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে তিনি সেই সাজা এড়াতে পারবেন। মাঠে মেসির প্রেমিকা ও দুই সন্তান", "doc2": "Messi gələcək xanımını ilk dəfə 6 yaşında ikən görüb. \"Əsrin toyu\" adlandırılan mərasim futbolçunun doğma Rosario şəhərindəki dəbdəbəli hoteldə keçirilib. 260 dəvətli arasında incənət və idman ulduzları, məşhur şəxslər olub. Qonaqlar arasında Luis Suárez, Neymar, Gerard Piqué və onun xanımı, kolumbiyalı pop ulduz Shakira nəzərə çarpıb. Tədbirdə təhlükəsizlik yüzlərlə polis tərəfindən təmin edilib. 30 yaşlı Messi, və 29 yaşlı Roccuzzo futbolçunun 13 yaşında ikən, İspaniyaya köçməsindən əvvəl tanış olublar. Argentinanın Clarín qəzeti mərasimi \"ilin toyu\" və \"əsrin toyu\" kimi səciyyələndirib. Messi-nin komanda üzvləri olmuş Xavi Hernandez, Cesc Fàbregas və Carles Puyol partnyorları ilə birlikdə. Qırmızı xalçada: Argentina millisinin futbolçusu Ezequiel Lavezzi. Gerard Piqué (solda) və onun xanımı Shakira Rosario aeroportunun işçiləri ilə birgə şəkil çəkdiriblər. Rosarioda toy mərasiminin keçirildiyi otelin qarşında toplaşan adamlar. Mərasimdən əvvəl rəssam Lisandro Urteaga divarda Messi-nin portretini çəkir. Messi xanımı və iki uşağı ilə futbol meydançasında. Dəvətlilər arasında Uruqvaylı futbolçu Luis Suárez da olub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56733378", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40370168", "doc1": "সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের ভেতরে পতাকায় ঢাকায় ডিউক অব এডিনবরার মরদেহ গত ৯ই এপ্রিল উইণ্ডসর কাসলে প্রিন্স ফিলিপ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৯। উইণ্ডসর দুর্গের প্রাকারের ভেতরেই অবস্থিত সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। রাজকীয় এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় শনিবার ব্রিটেনের সময় বিকেল তিনটায় (বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়)। উইণ্ডসর দুর্গে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য ডিউকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে প্রিন্স ফিলিপ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা যেন ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হয়। তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানটি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। ইংল্যান্ডে এখন করোনাভাইরাস মহামারি-জনিত যেসব বিধিনিষেধ জারি রয়েছে, তার সাথে সংগতি রেখে এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে মাত্র ৩০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন - এবং তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন এবং মাস্ক পরে ছিলেন। ডিউক অব এডিনবারা অতিথিদের তালিকায় ছিলেন রানি এলিজাবেথ ও ডিউক অব এডিনবরার পরিবারের সদস্যরা, এবং ডিউক অব এডিনবরার তিন জন জার্মান সদস্য। এতে যোগ দেবার জন্য ডিউকের নাতি প্রিন্স হ্যারি - যিনি গত বছর রাজপরিবারের সক্রিয় উর্ধতন সদস্যের দায়িত্ব ত্যাগ করেছেন - তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে আসেন। তবে তার স্ত্রী মেগান সন্তানসম্ভবা থাকার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন নি। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে রানি এলিজাবেথ শেষকৃত্যের শুরুতে ডিউকের মরদেহ উইণ্ডসর দুর্গের প্রাইভেট গির্জা থেকে দুর্গের রাষ্ট্রীয় প্রবেশপথে নিয়ে আসা হয়। এর পর তার মরদেহ একটি জলপাই রঙের ল্যান্ড রোভারে করে উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরেই সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল নামের গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়। আরও পড়ুন: প্রিন্স ফিলিপ: ৯৯ বছর, ১৪৩টি দেশ এবং অতি বিখ্যাত এক স্ত্রী ব্রিটিশ রাজপরিবার কীভাবে কাজ করে, এর সদস্য কারা ব্রিটেনের যেসব মানুষ রাজতন্ত্র সমর্থন করে না ব্রিটেনের রানির ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের অভ্যন্তরভাগ, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে শেষকৃত্য এই বিশেষ ল্যান্ড রোভার গাড়িটিই শববাহী গাড়ি হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে - কারণ প্রিন্স ফিলিপ নিজে এটি অনেক দিন ব্যবহার করেছেন এবং এটিতে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতেও তিনি নিজে ভুমিকা রেখেছেন। এর পেছনে ছিলেন রানি ও ডিউকের চার সন্তান প্রিন্স চার্লস, এ্যান্ড্রু, এডওয়ার্ড এবং প্রিন্সেস অ্যান। আরো ছিলেন ডিউকের দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। সাথে ছিলেন পরিবারের অন্য কিছু সদস্য এবং ডিউকের কর্মচারীবৃন্দ। উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরের ঘাসে আচ্ছাদিত চতুষ্কোণ জায়গাটিতে ডিউকের মরদেহ শববাহী গাড়িতে ওঠানো হয়। সেখানে এর আগে থেকেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো ছিল হাউজহোল্ড ক্যাভালরি, ফুট গার্ড, এবং ডিউকের সাথে বিশেষ যোগাযোগ ছিল এমন সেনা ইউনিটের ছোট কয়েকটি দল। প্রয়াত ডিউকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের অন্যত্র প্রকাশ্য স্থানে লোক জড়ো হন বিকেল পৌনে তিনটায় মূল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এর শুরুতে ছিল গ্রেনাডিয়ার গার্ড নামে সামরিক বাদকদল। রানি এলিজাবেথ স্বয়ং রাজকীয় বেন্টলি গাড়িতে করে শোভাযাত্রার পেছনে ছিলেন। এসময় দুর্গের ভেতর তোপধ্বনি এবং গির্জার ঘন্টাধনি করা হয়। ডিউকের মরদেহ তার মর্যাদাসূচক নিজস্ব পতাকা দিয়ে ঢাকা ছিল - তার ওপর ছিল পুষ্পস্তবক এবং ডিউকের নৌবাহিনীর টুপি ও তরবারি। ডিউক অব এডিনবরার সাথে ২০০৩ সালে তোলা এই ছবিটি শেয়ার করেছেন রানি এলিজাবেথ সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে শোভাযাত্রার সাথে মিলিত হন আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবারি - যিনি এ্যাংলিকান চার্চের প্রধান। মূল অনুষ্ঠানে ডিউকের স্মরণে পুরো ব্রিটেন জুড়ে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়, যা শুরু ও শেষ হয় তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে। এর পর গির্জার ভেতরে কফিন নিয়ে যাওয়া হয়, এবং তা একটি মঞ্চের ওপর রাখা হয়। চারজন সঙ্গীতশিল্পীর একটি দল ডিউকের পছন্দের কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। এর পর গির্জার আনুষ্ঠানিকতা বা সার্ভিস শেষ হলে ডিউককে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের রাজকীয় ভল্টে সমাহিত করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যগত বিধিনিষেধের কারণে ব্রিটেনের জনগণকে এই শেষকৃত্যের কোন অনুষ্ঠানে যোগ না দিতে বলা হয়। অনুরোধ করা হয়, তারা যেন রাজপ্রাসাদের সামনে ফুল ইত্যাদি না দিয়ে বরং ডিউক যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন সেগুলোতে অর্থ দান করেন। তা ছাড়া একটি অনলাইন শোকবই খোলা হয় যাতে জনসাধারণ তাদের ব্যক্তিগত বার্তা দিয়ে শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ব্রিটেনে জাতীয় শোক পালন শেষ হলো। তবে রাজপরিবার আরো এক সপ্তাহ ধরে শোক পালন করবে, এবং তাদের বিভিন্ন অুনুষ্ঠানে যোগ দেবার সময় তারা কালো পোশাক পরবেন।", "doc2": "Şahzadə Philipp yaxşı əhval-ruhiyyədədir. O, bundan əvvəl infeksiya xəstəliyi təhlükəsinə görə hospitala yerləşdirilmişdi. BBC-nin məlumatına əsasən, Edinburq hersoqunun vəziyyəti \"ciddi narahatlıq doğurmur.\" Onun xəstəxanaya yerləşdirilməsindən sonra Buckingham sarayı tərəfindən yayılmış məlumatda Edinburq hersoqunun hospitala çərşənbə axşamı gününün axşamı çatdırıldığı qeyd olunmuşdu. Buckingham sarayında 96 yaşlı şahzadə Philip-in yaxşı əhval-ruhiyyədə olduğu bildirilib. Ötən şənbə günü o, kraliça ilə birgə hərbi paradda olub, çərşənbə axşamı isə Ascot cıdır yarışlarının açılışına baş çəkib. Həmin günün axşamı o, xəstəxanaya çatdırılıb. Hospitalda olduğuna görə, şahzadə parlamentin çərşənbə günü baş tutmuş açılışında iştirak edə bilməyib, onu parlamentdə Wales şahzadəsi əvəz edib. Şahzadə Philip Ascot cıdır yarışlarının ikinci gününü də buraxmalı olub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42442303", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-42465647", "doc1": "আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানে গুগল আমরা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কথা বলছি। \"আপনি যখন গুগলের সেবা ব্যাবহার করেন, আপনার তথ্য দিয়ে আপনি আমাদের বিশ্বাস করেন।\" টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি নিজেদের গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতিমালার প্রথম লাইনেই এরকম পরিষ্কারভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না \"মাই অ্যাক্টিভিটি\" তে জমা থাকা যে কোনো তথ্য মুছে দেয়ার সুযোগ আছে। কিভাবে এটি করা যায় তা কয়েকটি সহজ ধাপে বর্ণনা করা হোলো। ১. মাই অ্যাক্টিভিটি মুছে দেয়া প্রতিবার আপনি যখন গুগল সার্চ করেন, তারা আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে তা যুক্ত করে রাখে। জিমেইল ইনবক্স দিয়ে সার্চ করা বা কোনো ফর্ম পূরণের পাশাপাশি আপনার সব পদক্ষেপেরও বিবরণ রাখে তারা এই সব তথ্য \"মাই অ্যাক্টিভিটি\" নামের একটি সাইটে জড়ো করে রাখে তারা- যেখানে আপনার যেতে হবে। মাই অ্যাক্টিভিটি’র লিঙ্ক আপনি পছন্দমতো নির্দিষ্ট কোনো পেইজ বা বিষয় মুছে দিতে সার্চ ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো সময়ের মধ্যে সব বা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মুছে দিতে পারেন। এর ফলে কি কি হতে পারে এবিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে আপনার কাছে একটি সতর্কবার্তা আসবে। কিন্তু বাস্তবে আপনার সার্চ ও ওয়েবসাইট ব্রাউজের ইতিহাস মুছে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। এমনকি আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ও অ্যাপের কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও না। ২.ইউটিউবের সব কার্যক্রম মুছে দেয়া ইউটিউবে আপনি কি সার্চ করেন ও কি দেখেন তা'ও গুগল নজরে রাখে। কিন্তু এটিও সহজেই মুছে দেয়া যায়। প্রথমে বামদিকের মেন্যুতে থাকা \"হিস্টরি\" তে ক্লিক করুন। এরপর \"ক্লিয়ার অল সার্চ হিস্টরি\" আর \"ক্লিয়ার ওয়াচ হিস্টরি\" তে ক্লিক করুন, অথবা বাছাই করে নির্দিষ্ট সার্চ করা বা দেখা বিষয়ও মুছে দিতে পারেন। মাই অ্যাক্টিভিটি থেকে ইউটিউব সার্চ হিস্টরিতে যাওয়ার লিংক ৩. বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার সম্পর্কে যা যা জানে তা কীভাবে মুছবেন গুগল শুধু আপনার বিষয়ে সব জানে তা'ই নয়, তারা এই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের দিয়ে থাকে। একারণেই আপনার সার্চ হিস্টরির সাথে সম্পৃক্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পান আপনি প্রায়ই। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই - বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে কি তথ্য যাচ্ছে তা আপনি জানতে পারেন। এবার আপনার যেতে হবে \"অ্যাডস সেটিংস\" (Ads Settings) অপশনে। সেখানে ক্লিক করুন এবং তারপর \"ম্যানেজ অ্যাডস অ্যান্ড সেটিংস\" এ চাপুন। এরপর আপনার কাছে \"অ্যাডস পার্সোনালাইজেশন\" নামে একটি অপশন আসবে। এটিকে অকার্যকর করলে গুগলের কাছে থাকা আপনার তথ্যের ভিত্তিতে আর কোনো বিজ্ঞাপন আপনি দেখতে পাবেন না। তবে একেবারেই কোনো বিজ্ঞাপন না দেখার অপশন নেই। আপনার পছন্দ সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন না বলে একটি গুগল আপনাকে একটি সতর্কবার্তা দেবে। তবে এই সিদ্ধান্ত আপনার ওপর নির্ভর করে। ৪. আপনার অবস্থানের বিবরণ মুছে ফেলুন আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাহলে একটি টাইমলাইন ফাংশনের মাধ্যমে আপনি ফোন বা ট্যাবলেট রিয়ে কোথায় কোথায় গিয়েছেন তার একটি তালিকা তৈরী করে রাখে গুগল। গুগল ম্যাপস থেকে এই তথ্য মুছে দিতে আপনার এই পেইজে যেতে হবে। এই পেইজে গিয়ে অবস্থান বিবরণ মুছতে পারেন লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করে সম্পূর্ণ হিস্টরি, একটি বিশেষ দিন বা নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য মুছে দিতে পারেন আপনি। তবে নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য বা যাত্রার তথ্য \"ওয়েস্ট বাস্কেট\" এ ক্লিক করে কখনোই মুছতে পারবেন না।", "doc2": "Google-dan danışırıq, dünyanın ən populyar axtarış mühərrikindən. \"Google xidmətlərini istifadə etdikdə, məlumatlarınız baxımından bizə inana bilərsiniz\", texnologiya nəhəngi, məxfilik şərtləri və qaydalarının ilk sətrində istifadəçilərinə nəylə qarşılaşacaqlarını bu qədər açıq deyir. Ancaq bilmədiyiniz bu ola bilər: Google, \"Fəaliyyətim\" funksiyasında toplanan məlumatlarınızı silmək imkanı da yaradır. Bir neçə sadə addımla, özünüzü Google-a unutdura bilərsiniz. 1. \"Fəaliyyətim\" (My activity) funksiyanı silmək Google, siz axtarış etdiyiniz zaman topladığı məlumatı hesabınızla əlaqəli şəkildə saxlayır. Gördüyünüz hər bir hərəkət qeydiyyata alınır. Məsələn, forma doldurmaq və ya Gmail hesabınızın məktub daxil olan qutusunu yeniləmək. Bütün bu göstəricilər \"Fəaliyyətim\" hissəsində toplanır. Sizin baxmalı olduğunuz yer də buradır. \"Fəaliyyətim\" üçün link Silmək istədiklərinizi, axtardığınız subyektləri və ya səhifələri, ya axtarış funksiyasını istifadə edərək tapa bilərsiniz, ya da hər şeyi və ya müəyyən bir tarix ərzindəki subyektləri seçə bilərsiniz. Google-dan işinizin mümkün nəticələrinə dair bir xəbərdarlıq çıxacaq. 2. YouTube-da bütün fəaliyyətlərinizi silmək Google, Youtube-da baxdıqlarınızı və axtardıqlarınızı da təqib edir. Ancaq bunu da silmək asandır. Əvvəla, soldakı menyudan \"Tarixcə\"yə daxil olun, sonra sağdakı menyudan \"baxış tarixçəsi\" və \"axtarış keçmişini\" seçərək təmizləyin. YouTube-da fəaliyyətlərinizi silmək üçün link 3. Reklamçıların haqqınızda bildiyi hər şeyi necə siləcəksiniz? Google haqqınızdakı hər şeyi bilməklə qalmır, bu məlumatları reklam verənlərlə də bölüşür. Tez-tez axtarışlarınızla əlaqəli reklamlar görməyinizin səbəbi də budur. Ancaq narahat olmayın, reklam verənlərə hansı məlumatların çatdırıldığını tapa bilərsiniz. Bunun üçün Google hesabınızda \"Şəxsi Məlumatlar və Arxiv\" bölməsinə girin. Burada \"Reklam Ayarları\"nı tapın. Onun üzərinə tıklayın və \"Reklam ayarlarını idarə edin\" hissəsinə daxil olun. Daha sonra \"Reklam Fərdiləşdirməsi\" deyə bir variant görəcəksiniz. Orada dəyişiklik edin və bundan sonra Google-dan sizinlə bağlı yığdığı məlumatlara dair, yəni maraqlarınıza reklam almayacaqsınız. Lakin reklamı tam məhdudlaşdırmaq mümkün deyil. 4. Google-da məkan tarixinçənizi silmək Əgər Android cihazlarını istifadə edirsinizsə, Google, \"Vaxt Qrafiki\" funksiyası ilə telefon və ya kompüterinizlə səfər etdiyiniz yerlərin siyahısını tutur. Məkan barədə məlumat linki Google Xəritələrdən məkan məlumatlarınızı silmək üçün yuxarıdakı səhifəni ziyarət etməlisiniz. Məkan keçmişinizi bağlaya, bütün keçmişi, tək bir günü, ya da müəyyən zaman kəsiyindəki fəaliyyətinizi silə bilərsiniz. Bunun üçün \"Məkan Tarixçəsini Durdurun\"a tıklayın."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55152502", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-37566184", "doc1": "প্রায় তিন দশক ধরে নিজের ছেলেকে এই মা ফ্ল্যাটটিতে বন্দী করে রেখেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্টকহোমের উপকণ্ঠে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রেফতার হওয়া মা তার ছেলেকে বন্দী করে রাখা এবং তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার কথা অস্বীকার করেছেন। যে ছেলেকে প্রায় তিরিশ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে বলা হচ্ছে, তার বয়স এখন ৪০। তাকে ফ্ল্যাটের মধ্যে খুবই নোংরা পরিবেশে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। লোকটির মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন রোববার ঘটনাচক্রে ফ্ল্যাটে যাওয়া একজন আত্মীয়া ছেলেটিকে সেখানে আবিস্কার করে। তাকে এখন হাসপাতালে তার আঘাতের জন্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্টকহোমের হ্যানিঞ্জ এলাকায় এই ফ্ল্যাটটি এখন পুলিশ তদন্তের স্বার্থে সিল করে দিয়েছে। সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তা জানতে পুলিশ সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছে। যেভাবে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যায় অজ্ঞাতনামা এক আত্মীয়া এবং তার সঙ্গী রবিবার সন্ধ্যায় এই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ঐ মায়ের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেছেন এ খবর শুনে। এই আত্মীয়া জানিয়েছেন, তিনি সর্বশেষ এই ফ্ল্যাটে গিয়েছেন ২০ বছর আগে। সেসময় তিনি ঐ ছেলেটির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি চালাচ্ছে ছেলেটির বয়স যখন ১১ বা ১২ তখন থেকে তাকে স্কুলের খাতা থেকে নাম কেটে ঘরে নিয়ে আসা হয়েছিল। গত রোববার এই নারী ফ্ল্যাটের দরোজা খুলে দেখেন এটি একেবারে অন্ধকার, ধুলায় ঢাকা। এবং সেখান থেকে মুত্র, ময়লা-আবর্জনার পঁচা গন্ধ বেরুচ্ছে। যখন তিনি হ্যালো বলে ডাক দেন, তার জবাবে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাকে স্তুপ হয়ে থাকা জিনিসপত্রের মাঝ দিয়ে ঘরে ঢুকতে হয়। রান্নাঘরে শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি দেখেন অন্ধকারে এক কোনায় একটা লোক বসা। বাইরে থেকে রাস্তার সড়ক বাতির আলোয় তাকে দেখা যাচ্ছিল। তার পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঘা হয়ে গেছে। এই নারী সুইডেনের একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, লোকটি যখন তাকে দেখেন, তিনি উঠে দাঁড়ান, এবং তার নাম ধরে বার বার ডাকতে থাকেন। লোকটির প্রায় সব দাঁত পড়ে গেছে এবং তার কথা ছিল অস্পষ্ট। তিনি বলেন, যে কোনভাবেই হোক, এত বছর পরেও লোকটি তাকে চিনতে পেরেছে এবং তাকে দেখে ভয় পাচ্ছিল না। লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং এরপর তার মাকে আটক করা হয়। স্টকহোমের একজন সরকারি কৌসুঁলি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, এটি লোকটির শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত কিছু তিনি আর জানাননি। পুলিশের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, \"লোকটিকে কতদিন বন্দী করে রাখা হয়েছিল, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের ধারণা, খুবই দীর্ঘ একটা সময় তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।\" যে নারী এই লোকটিকে ফ্ল্যাটে গিয়ে খুঁজে পান, তিনি সুইডেনের পাবলিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, লোকটির মা এর আগে তার আরেকটি সন্তান হারিয়েছিলেন। সেটি নিয়ে তিনি মুষড়ে পড়েছিলেন। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর তিনি তার নাম রাখেন আগের সন্তানের নামে। একজন আত্মীয়াকে উদ্ধৃত করে সেখানে আরও জানানো হয়, তিনি তার মৃত সন্তানকে ফিরে পেতে চাইছিলেন এবং নতুন সন্তানকে খুব বেশি আগলে রাখতে চাইতেন। \"লোকটি যে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পেয়েছে এবং বেঁচে গেছে, সেজন্যে আমি কৃতজ্ঞ\", বলছেন এই আত্মীয়া। অন্যান্য খবর: বিনিয়োগের বদলে নাগরিকত্ব: কোন দেশে বেশি যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা? ফ্রান্সের ইমাম ও মুসলিমরা ফরাসী মূল্যবোধের সনদ নিয়ে কতটা চাপে যে ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা হবে", "doc2": "Almaniyada şəxsi həyat haqqında ciddi qaydalar mövcud olduğundan kişinin kimliyi açıqlanmır. Bavariya şəhərinin Bayreuth kəndində yaşayan, hazırda 43 yaşı olan kişi 13 yaşında məktəbi dayandırdıqdan sonra ictimaiyyətdə az-az görünüb. Polis deyir ki, o, baxımsız görünsə də, qidalanması yaxşı olub. Kişinin anası mediada deyib ki, oğlu \"sadəcə küçəyə çıxmaq istəməyib\" və o, sadəcə övladını qorumaq istəyib. Polisə kişi barədə məlumat keçən ay gizli ötürülüb. Bundan sonra polis kişini xəstəxanaya aparıb. Almaniyada şəxsi həyat haqqında ciddi qaydalar mövcud olduğundan kişinin kimliyi açıqlanmır. Hadisə barədə ətraflı şərh verməyən polis deyib ki, bu, cinayət işindən daha çox ailə faciəsidir. Polisin sözçüsü Juergen Stadter jurnalistlərə söyləyib ki, hələlik kişinin niyə evdən çıxmamasının səbəbi bilinmir. \"Bəlkə o özü belə istəyib\", o əlavə edib. Şahidlər bildiriblər ki, onlar kişinin evdə sərbəst hərəkət etdiyini güman edirlər və onun zəncirlənməyinin şahidi olmayıblar. Polis onun haqqında yalnız 13 il əvvəl onun ibtidai məktəbə və orta sinfə getdiyini göstərən sənədə malikdir. Həmin sənəddə deyilir ki, məktəb onun orada dərslərə gəlməyə uyğun olmadığını deyir. Hazırda kişi həkim müayinəsindən keçir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45478841", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-45640086", "doc1": "মিলিয়ন ডলার খরচ করেও হয়তো যা মেলেনা তা মিলবে বাজেটের ভেতরে থেকেই। আবার নিত্যদিনকার এমন কিছু সাদাসিধে ব্যাপার আছে যা হয়তো একজন মানুষের জীবনকে সুখী, স্বস্তিকর এবং সুন্দর করে তুলতে পারে। ঘরকে সবুজময় করে তোলা ঘরের ভেতর গাছপালা স্ট্রেস কমিয়ে দেয় এবং সুখকে বাড়িয়ে দেয়। কিভাবে? ঘরকে করে তুলুন যতটা সম্ভব সবুজ মৌলিক যে বিষয়টি সবাই জানানে যে, গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ছাড়ে যা আমাদের বেঁচে থাকার শক্তি। কিছু কিছু গাছ বায়ুকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে কারণ তারা বায়ু থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিককে টেনে নেয়। শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখা শরীর ও মনের সু্স্থতার জন্য দারুণ কিছু করতে চাাইলে দিনে বেলা প্রচুর পানি পান করেত হবে। মানুষের শরীরের প্রধান উপাদান পানি। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর শরীরে ৫৫ শতাংশ এবং পুরুষের শরীরে ৬০ শতাংশ কার্যক্ষমতার জন্য পানি প্রয়োজন। সেকারণে শরীরে পর্যাপ্ত জলীয় থাকলে সুস্বাস্থ্য, শক্তির মাত্রা বাড়া এবং মনোযোগের শক্তি বাড়ে। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ পরীক্ষায় ভালো করার চাপে কি শিশুরা আত্মঘাতী হচ্ছে? যদি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে বিস্বাদ মনে হয় তাহলে তার সাথে লেবু বা শসা কিংবা আদার টুকরো মেশানো যেতে পারে। এমনকি পানি খাওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলে তাদের জন্য ইন্টারনেট অ্যাপসও আছে যার মাধ্যমে পানি পানের জন্য রিমাইন্ডার পাঠানো হবে। নিজের কক্ষের নতুন সাজ-সজ্জা আমরা আমাদের ঘর-বাড়ি কিভাবে সাজাই, সেটা আমাদের মেজাজের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, সেইসাথে কতটা ঘুমাই এবং আমাদের এনার্জি লেভেল কেমন তাতেও প্রভাব ফেলে। যদি আপনি সেখানে নতুন রূপ দিতে চান তাহলে শোবার ঘর থেকে শুরু করুন। মুক্ত বাতাসের জন্য জানালা খুলে দিন, যতটা সম্ভব দিনের আলো ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন। পরিষ্কার রাখুন কাপবার্ডের সবকিছু এবং বিছানার তলা পরিচ্ছন্ন রাখুন। সাদাসিধে রাখুন শোবার ঘর যদি আপনি একে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে চান তাহলে গুরুত্ব দিতে পারেন চীনের প্রাচীন ফেং শুই পদ্ধতিকে। সেজন্য বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটিও করতে পারেন। ফেং শুই দিয়ে বোঝানো হয় বায়ু ও পানি। ফেং শুইতে 'চি' নামের সর্বজনীন শক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, মানবশরীরের অভ্যন্তর ও বাইরে এই শক্তিই সমস্ত কাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে ফেং শুই এর এই সূত্র মানুন বা নাই মানুন এটি অনুসরণ করে অন্তত দারুণ রুম লে-আউট পাওয়া যেতে পারে। বাড়িতে তুলির আঁচড় বাড়ির দেয়ালের রং মানুষের মুড বা মন-মেজাজের ওপর দারুণভাবে প্রভাব রাখে। সবুজ রং- প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করে এই রং ঘরের ভেতর ভারসাম্য, সমন্বয় এবং শিথিলতা এনে দিতে পারে। নীল রং-একটি নান্দনিক গুণ সম্পন্ন রং। এটি প্রশান্তির এক অনুভূতি তৈরি করে এবং বিশ্রাম এনে দেয়, এ কারণে এই রং শোবার ঘরের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তবে লাল রং এড়িয়ে যাওয়া উচিত কারণ তা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে দ্রুত করে যা হার্ট-রেট এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। পাখিদের গান শুনলে হয়তো কুউ-কুউ- শোনায়, কিন্তু লন্ডনের বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাখীদের গান বা কিচির-মিচির শব্দ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। স্বেচ্ছাসেবকদের একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের মুড রেকর্ড করে রাখতে বলা হয়েছিল। এবং দেখা যায়, পাখীর গান, গাছপালা এবং আকাশ তাদের যে মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছিল কয়েক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তার রেশ ছিল। যদি আপনার পক্ষে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়া সম্ভব না হয় এবং প্রকৃতির মাঝে ডুব দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে উপায়? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সে ব্যবস্থাও অসম্ভব নয়। পাখীর কিছু গান বা শব্দ ডাউন-লোড করে ফোনে সেভ করে নিয়ে হেড-ফোন দিয়ে শুনুন। আর চোখ বন্ধ করে ভাবুন প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাখির ডাক ইতিবাচক প্রভাব রাখে মানসিক প্রশান্তির ক্ষেত্রে। পোষা বিড়াল গবেষণা বলছে, বিড়াল পোষার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। চার হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের ওপর দশ বছর ধরে চালানো গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার স্ট্রোক ইন্সটিটিউট ইন মিনেপলিস এর গবেষকরা দেখেছেন যে, বিড়াল পুষেছেন এমন ব্যক্তিদের অন্যদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকে কিংবা স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কম ছিল। এমন একটি বিড়াল হতে পারে সঙ্গী হাসতে থাকুন নির্মল হাসি আমাদের পেশীগুলোকে আলগা করে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, নাইট্রিক অক্সাইড বের করে দেয়, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হাসি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং শরীরের এন্ডোরফিন শিথিল করে যার ফলে আমাদের শরীর আরাম পায় এবং এটা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটা ঠিক যে, হাসি সত্যিকারভাবেই শ্রেষ্ঠ ওষুধ। যেসব বন্ধুদের সঙ্গ আনন্দ দেয় তাদের সাথে সময় কাটানো, কমেডি দেখা ইত্যাদি হতে পারে সুন্দর সময় কাটানোর উৎস। আর ততটা সামাজিক না হলে ভিডিও দেখা যেতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দৃষ্টিভঙ্গি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ যেমন- সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড- বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর অন্যতম। কাজের ক্ষেত্রে সুখী এবং উন্নতির জন্য বেশকিছু কৌশল অনুসরণ করে থাকে সেখানকার মানুষেরা। সুইডেনে একটি রীতি প্রচলিত আছে যা ফিকা নামে পরিচিত, যার ফলে প্রতিদিন কফি ও কেক খাওয়ার জন্য বিরতি নিতে হয় যখন কলিগরা একত্র হন। তারা হয়তো কফির পাত্র নিয়ে বসে এবং সাথে থাকে কিছু ঘরে বানানো খাবার। কর্মক্ষেত্রে ফিকা একধরনের অবশ্য পালনীয় রীতি। নিজের সব কষ্টকে হাসি দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়। পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থতা এবং ভাল থাকার জন্য খাবার এবং ব্যায়ামের মতো মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। স্ট্রেস হরমোন লেভেল বেড়ে যায়, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা দেখা যায়। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের ভেতর নানা কাজ চলে। ঘুম এনে দিতে পারি স্থিরতা ভাল ঘুমের জন্য পরিশ্রম দরকার। শোবার ঘরকে পরিষ্কার এবং নীরব রাখা দরকার, রাতে দেরি করে খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে সব ধরনের ডিভাইসের আলো যাতে না থাকতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে বেরনো সামান্য নীল আলোও আপনার ঘুম চোখ থেকে কেড়ে নিতে পারে। দিনের শেষভাগে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বাদ দিতে হবে-এটাই তার সময়।", "doc2": "Bir neçə sadə yol var ki, onların sayəsində biz hər gün özümüzü sakit, rahat, daha sağlam və xoşbəxt hiss edə bilərik. 1. Daha çox ev bitkisi alın Ev bitkisinin bahalı olması mütləq deyil. Bir budağı dostlarınızdan götürüb əkə bilərsiniz Müəyyən edilib ki, evdəki bitkilər stress səviyyəsini azaldır və insanı xoşbəxt olmağa məcbur edir. Necə? Bitkilər hər şeydən əvvəl karbonu udub oksigeni ifraz etməklə bizim yaxşı nəfəs almağımıza köməklik edir. Bəzi bitkilər hətta havanı gündəlik həyatda məişətdə istifadə etdiyimiz kimyəvi maddələrdən də təmizləmək bacarığına sahibdir. Parlaq yarpaqlar və rənglər ən azından insanın əhval-ruhiyyəsini qaldırır. Heç bir şeyi gözləmədən özünüzə Spathiphyllum bitkisini alın. 2. Bədəndəki nəmliyin səviyyəsini qoruyun Gün ərzində çoxlu su içmək sağlamlığın təminatıdır Su insan orqanizminin başlıca komponentidir. Qadınlarda bu, təqribən ümumu kütlənin 55%-ni, kişilərdə isə 60%-ni təşkil edir. Bədənin normal işləməsi üçün su əhəmiyyətlidir. Ona görə də bizim həyat enejimizin səviyyəsinin, konsentrasiya bacarığımızın və ümumilikdə sağlamlığımızın nə qədər su içməyimizdən asılı olması təəccüblü deyil. Əgər sizə sadə suyu içmək çətindirsə, o zaman suya bir limon, xiyar dilimi və ya zəncəfil kökü ata bilərsiniz. Əgər siz mütəmadi su içməyi unudursunuzsa, günümüzdə \"su içmək zamanıdr\" deyərək bunu sizə xatırladacaq müxtəlif tətbiqlərdən istifadə edə bilərsiniz. 3. Evdə dəyişikliklər edin Çarpayının altındakı və şkafdakı lazımsız əşyalardan xilas olun Belə bir nəzəriyyə mövcudddur ki, evdəki ab-hava bizim əhval-ruhiyyəmizə, yuxunun keyfiyyətinə və fəallıq səviyyəmizə təsir göstərir. Buna əmin olmaq istəyirsinizsə yataq otağından başlayın. Pəncərəni açıq saxlayın, otağa daha çox təmiz hava və təbii işığın daxil olmasına şərait yaradın. Çarpayının altındakı və şkafdakı lazımsız əşyalardan xilas olun. Əgər siz başqa səviyyəyə keçməyə hazırsınızsa o zaman siz fenşuy Çin (təbiətdə olan enerjini yaşadığımız ətrafda hərəkətə çevirmə texnologiyasını göstərən köhnə bir Çin təlimi) kitabını oxumalısınız. Bu qədim ənənədir, hansı ki adı \"külək-su\" kimi tərcümə olunur. Onun mahiyyəti fiziki sağlamlığın Tsi enerjisinin - həyat qüvvəsinin insanın yaşadığı ərazidə necə hərəkət etməsindən asılı olmasından ibarətdir. Əgər siz hətta mebeli fenşuya uyğun yerləşdirərək Tsi enerjisini hiss etməsəniz belə ev onsuz da təmiz və rahat olacaq. 4. Evin divarlarını boyayın Evdəki divarların rəngi də əhval-ruhiyyəyə təsir göstərir. Məsələn, yaşıl rəng təbiətin təcəssümüdür, harmoniya tapmağa və rahatlanmaga kömək edir. Mavi - sakitləşdirir və hətta yatızdırır. Bu rəng yataq otağı üçün çox uyğundur, yuxunun keyfiyyətini yaxşılaşdırır. Qırmızı rəng arzuolunan deyil. O, bizi tez-tez nəfəs almağa məcbur edir və bu da ürək döyünütüsünü artırır və təzyiqi yüksəldir. 5. Quşların nəğməsini dinləyin Quşların nəğməsini lent yazısında da dinləmək olar - effekt eynidir Bu, qəribə səslənə bilər. Lakin King`s College London-un alimləri müəyyən ediblər ki, quşaların nəğməsi bizim psixi vəziyyətimizi ən azı 4 saatlığa yaxşılaşdırmağa qadirdir. Könüllülərdən müxtəlif tətbiqlərin köməyilə bir günlük şəhər həyatındakı vəziyyətlərini və əhval-ruhiyyələrini qeyd etmələri xahiş olunub. Nəticələr göstərib ki, kim ki, ağacın altında oturub quşların nəğməsini dinləyib və ya sadəcə buludları müşahidə edib, günün sonunda onlar özlərini digərlərindən yaxşı hiss ediblər. Alimlər günün bir parçasını təbiətdə keçirmək imkanı olmayanlara belə bir məsləhət veriblər: quşların nəğməsini telefonunuza yükləyin, qulaqcıqları taxın, gözlərinizi yumun və bir-birinə tərəf axan təpələri təsvir edin. 6. Pişik saxlayın Belə bir pişik sözün əsl mənasında həyatınızı xilas edə bilər Araşdırmalar göstərib ki, pişiyi sığallamaq müalicəvi effekt verir. Minnesota Universiterinin nəzdində olan İfliclərin Öyrənilməsi İnstitutunun alimləri 10 il ərzində 4 min könüllünü müşahidə ediblər. Məlum olub ki, pişik sahiblərinin infarkt və iflic xəstəliyindən ölmə riski digərlərinə nisbətən 30% aşağıdır. Əgər sizin pişiyiniz yoxdursa, dostlarınızdan birindən arada onların pişiyini ziyarət etməsinə icazə vermələrini xahiş edin. Bundan başqa, sahibləri uzaqda olan pişiklərə və itlərə baxmaq xidmətinə tələbat çoxdur. Bu, ev heyvanı saxlamadan onlarla ünsiyyət qurmaq üçün yaxşı imkandır. 7. Tez-tez gülün Vaxtınızı sizə əyləncəli olan dostlarınızla keçirin Gülüş əzələlərdəki gərginliyi aradan qaldırır, qan dövranını yaxşılaşdırır və qana azot oksidinin daxil olmasına şərait yaradır. Bu, bizim immun sistemimizi fəallaşdırır. Bundan başqa, gülüş stress hormonlarının zəifləməsinə və bizim vəziyyətimizi yaxşılaşdıran və təbii ağrıkəsici rolunu oynayan kimyəvi komponenti - endorfini ifraz edir. Və bu belədir - gülüş can dərmanıdır. Vaxtınızı sizə əyləncəli olan dostlarınızla keçirin, komediyaya baxmağa gedin. Əgər insanlar arasına çıxmaq istəmirsinizsə, özünüzə bir içki süzün və sevimli videolarınıza baxın. 8. İşə skandinavlar kimi yanaşın Kim qəhvə ilə kökədən imtina edər? Xüsusilə də işin qızğın vaxtında Skandinaviya ölkələri - İsveç, Finlandiya və Norveç sakinləri dünyanın ən xoşbəxt insanları hesab olunur. Bəzi vərdişlərin sayəsində onlar hətta iş zamanı belə xoşbəxt və sağlamdırlar. İsveçlilər, məsələn \"fika\" (işdə fasilə etmək ənənəsi) adlı ənənəni təcrübədən keçirirlər. Hər gün həmkarlar bir yerə toplanır, qəhvə içir və qənnadı məmulatı (evdə bişən arzuolunandır) yeyirlər. Bu cür fasilələr nəinki rəhbərlik tərəfindən dəstəklənir və həm də məcburi hesab olunur. Sizi işlə təmin edəndən soruşun, bəlkə o da belə bir ənənə yaratmaq istəyir? Beləliklə, xoşbəxt iş mühiti məhsuldarlığın təminatıdır. 9. Çox yatın İstirahət bizim psixoloji vəziyyətimiz üçün pəhriz və idman kimi çox vacibdir. Yorğunluq immunitetin zəifləməsinə, stress hormonlarının yüksəlməsinə, narahatlığa və depressiyaya gətirib çıxarır. Axı məhz yuxu zamanı bizim orqanizm bərpa olunur və narahatlıqları aradan qaldırır. Var gücünüzlə yuxunuzu yaxşılaşdırmağa cəhd göstərin: yataq otağı gözəl və sakit olmalıdır, gecə yemək yeməyin və bütün cihazları söndürün. Telefonun işığı sizin yuxuya getməyinizə mane olacaq. Və günün ikinci yarısında istehlak etdiyiniz kofeinin miqdarını azaldın."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50347401", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50348931", "doc1": "রোববার হাইলোটো দ্বীপের সৈকতে হাজার হাজার বরফের ডিম ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের মাঝে হাইলোটো নামের একটি দ্বীপে বরফের ডিমে আবৃত একটি সৈকতের দৃশ্য দেখেছেন দেখেছেন শখের ফটোগ্রাফার রিসতো মাতিলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরল এক আবহাওয়া প্রক্রিয়ায় বরফের ছোট ছোট কুচি যুক্ত হয়ে ডিমের আকৃতি নিয়েছে। বাতাস এবং পানির ধাক্কায় বরফের কুচিগুলো একে আরেকটির সাথে মিশে ডিমের আকৃতি নিয়েছে। কাছের ওউলু শহরের বাসিন্দা রিসতো মাতিলা বিবিসিকে বলেন, এমন দৃশ্য তিনি জীবনেও দেখেননি। \"স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মারানেমি বিচে গিয়েছিলাম। রোদ ছিল, কিন্তু তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কেরও এক ডিগ্রি নীচে। জোর বাতাস বইছিল।\" তিনি বলেন, \"তারপর অসামান্য দৃশ্য চোখে পড়লো। সৈকত জুড়ে বরফের কুচির ওপর সারি সারি বরফের ডিম। জলের গোড়া পর্যন্ত বিস্তৃত।\" মি. মাতিলা বলেন, প্রায় একশ ফুট জুড়ে হাজার হাজার বরফের ডিম পড়ে ছিল। সবচেয়ে ছোটটি ছিল ডিমের আকৃতির। সবচেয়ে বড়গুলো ছিল ফুটবলের সমান আকৃতির। \"এ অঞ্চলে আমি ২৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কখনও এমনটা দেখিনি।\" সাথে ক্যামেরা ছিল, ফলে বিরল ঐ দৃশ্যের ছবি তুলেছেন মি. মাতিলা। আরও পড়ুন: ১০ বছরেও পচেনি ম্যাকডোনাল্ডসের যে বার্গার গর্ভের শিশুর হাতে টিকটিকির মতো পেশী থাকে বিবিসির আবহাওয়াবিদ জর্জ গুডফেলো বলেন, সাগরে ঠাণ্ডার সাথে সাথে বাতাস বইলে এ ধরণের বরফের বল তৈরি হতে পারে। \"বরফের কুচিগুলো ঢেউয়ের ধাক্কায় একসাথে মিশে বড় হতে থাকে তারপর ঠাণ্ডায় সাগরের পানি জমে সেগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে সেগুলো গোলার আকৃতি নেয়। ঐ সব বরফের বল সাগরের পানির ধাক্কায় মসৃণ হতে থাকে।\" তিনি বলেন, তারপর ভাটায় পানি নেমে গেলে বরফের গোলাকৃতি ঐ পিণ্ডগুলো সাগরতীরে পড়ে থাকে। অনেক সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় সেগুলো তীরে চলে আসে। এর আগে, রাশিয়া এবং শিকাগোর মিশিগান লেকে এধরনের বরফের ডিম দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে সাইবেরিয়ার নিদা এলাকার বাসিন্দারা সাগরতীরে ১১ মাইল জুড়ে বরফের বিরাট বিরাট বল দেখেছিলেন। এগুলোর কিছু ছিল টেনিস বলের আকৃতির। সবচেয়ে বড়গুলোর ব্যাসার্ধ ছিল তিন ফুট। সাইবেরিয়ার নিদা এলাকার সৈকতে বিশালাকৃতির সব বরফের বলের ওপর বসে একজন গ্রামবাসী .", "doc2": "Risto Mattila Hayluoto adasındakı \"buz yumurtalarının\" şəklini bazar günü çəkib Finlandiya ilə İsveçi ayıran Hayluoto adasında \"buz yumurtalara\" rast gələnlər arasında həvəskar fotoqraf Risto Mattila da olub. Mütəxəssislər hesab edir ki, buz kürələri külək və suyun təsiri nəticəsində yuvarlanaraq əmələ gəlib. Yaxınlıqdakı Oulu şəhərindən olan cənab Mattila əvvəllər belə bir şeyə rast gəlmədiyini deyib: \"Mən xanımımla Marjaniemi çimərliyində idim. Hava günəşli, təxminən -1C dərəcə idi. Və kifayət qədər küləkli bir gün idi\", - cənab Mattila BBC-yə bildirib. \"Orada belə bir heyrətamiz hadisəni gördük. Çimərlik boyunca su xətti yaxınlığında qar və buz yumurtaları var idi.\" Cənab Mattila deyir ki, buz kürələri təxminən 30 metrlik ərazini örtürdü. Ən kiçik buz kütləsi yumurta, ən irisi isə futbol topu ölçüsündə idi. \"Bu heyrətamiz bir mənzərə idi. Mən burada yaşadığım 25 il ərzində belə bir şeyə rast gəlməmişdim\", - Mattila deyir. \"Yanımda kamera olduğu üçün bu qeyri-adi mənzərəni gələcək nəsillər üçün əbədiləşdirmək qərarına gəldim\". BBC-nin hava proqnozu üzrə mütəxəssisi George Goodfellow deyir ki, buz kürələrinin əmələ gəlməsi üçün hava soyuq və bir qədər də küləkli olmalıdır. \"Ümumi mənzərə belədir ki, nisbətən iri buz örtüyündən əmələ gələn parçalar daha sonra dalğaların hərəkəti nəticəsində yuvarlanaraq kürə halına gəlir\". \"Onlar dəniz suyunun üzərində buz layı əmələ gələrkən yarana bilər. Bu həmçinin, onların üstünü hamarlaşdırır. Nəticədə səthi düz olan buz kürəsi yaranır. O, daha sonra su və küləklə çimərliyə çıxarıla və ya su çəkiləndə orada qala bilər\". Bənzər hadisələr əvvəllər də qeydə alınıb - Rusiya və Chicago yaxınlığındakı Michiqan gölündə. 2016-cı ildə Sibirdəki Nıda kəndinin sakinləri eyniadlı çayın 18 km məsafəyə uzanan sahili boyunca nəhəng buz və qar kürələrinə rast gəliblər. Sahildəki buz kütləsi tennis topu boyda və diametri 1 metrə çatan müxtəlif ölçülü kürələrdən ibarət olub. Sibirdəki Nıda çayının sahilində əmələ gələn buz və qar kürələri ."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42139388", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42137707", "doc1": "প্রিন্স হ্যারি ও তার বান্ধবী মেগান মার্কল সিংহাসনের উত্তরসূরীদের তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা হ্যারি আগামী বসন্তে বিয়ে করবেন বান্ধবী মিস মার্কলকে। ২০১৬ থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকা করা এই জুটির বাগদান সম্পন্ন হয় এমাসের শুরুতে। এক বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি জানান বাগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। শুধুমাত্র রানী এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা লন্ডনে সম্পন্ন হওয়া বাগদানের বিষয়ে আগে থেকে জানতেন। আরো পড়তে পারেন: 'আমার বাবা আমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো' পিলখানা হত্যা: ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল প্রিন্স অব ওয়েলস ও ডাচেস অব কর্নওয়ালের আনুষ্ঠানিক বাসভবন ক্ল্যারেন্স হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয় বিয়ের তারিখ ও অন্যান্য খুঁটিনাটি \"যথাযথ সময়ে\" জানানো হবে। বাকিংহাম প্যালেসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন রানী ও ডিউক অব এডিনবার্গ নতুন জুটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অব ক্যাম্ব্রিজ ক্যাথেরিন বলেছেন তাঁরা, \"হ্যারি ও মেগানের জন্য দারুণ উচ্ছসিত।\" \"মেগানের সাথে পরিচিত হতে পেরে আর দুজনকে একসাথে সুখী দেখে খুবই আনন্দিত।\" ইনভিক্টাস গেমসে হ্যারি ও মেগান আহত সেনাসদস্যদের নিয়ে আয়োজিত হওয়া আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ইনভিক্টাস গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই জুটিকে একসাথে দেখা যায়। প্রিন্স হ্যারির উদ্যোগে ২০১৪ তে শুরু হয় এই গেমস। এমাসের শুরুতে অভিনেত্রী মেগান মার্কল ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।", "doc2": "WATCH: Harry and Meghan hold hands Taxt növbəsində beşinci yerdə olan şahzadə Harry xanım Markle-la gələn yaz aylarında evlənəcək və cütlük Kensington sarayında yerləşən Nottingham Cottage-də yaşayacaq. \"Bu sadə krallıq evliliyi deyil. Meghan Markle Britaniyanın Krallıq Ailəsinə fərqli ənənələr gətirir\", BBC-nin Krallıq müxbiri Daniela Relph yazır. \"O, amerikalıdır, aktrisadır, qarışıq irqdəndir və boşanıb. O, həmçinin müxtəlif insan haqları üzrə kampaniyaçıdır və evliliyinin onun ictimaiyət qarşısında çıxışlarını, xüsusilə cinsi bərabərlik üzrə apardığı işlərini məhdudlaşdırmasını istəmir.\" 2016-cı ildən bəri tanış olan cütlük bu ayın əvvəlində nişanlanıb. Rəsmi bəyanatda şahzadə Harry nişanını \"elan etməkdən çox şad\" olduğunu və xanım Markle-ın valideynlərinin razılığını aldığını deyib. Londonda keçirilən nişan barədə yalnız kraliça II Elizabeth və \"digər yaxın qohumların\" xəbəri olub. Şahzadə Charles-ın iqamətgahı Clarence House-un yaydığı bəyanatda, həmçinin bildirilir ki, toy barədə əlavə məlumat \"tezliklə bəyan ediləcək\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47626589", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47597671", "doc1": "প্যারিসের প্রতীক আইফেল টাওয়ার। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জীবনযাত্রার মূল্যমান তুলনা করে দ্য ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রতিবছর এই জরিপ পরিচালনা করে থাকে। এবার ১৩৩টি দেশে এই জরিপ করা হয়। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্যারিস, হংকং এবং সিঙ্গাপুরের নাম শীর্ষে স্থান পেয়েছে। প্যারিস, গত বছরের শীর্ষ ১০ ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এছাড়া ঐ তালিকায় সেবার ইউরোপের আরও তিনটি শহরও ছিল। জরিপে ১৩৩টি দেশের খুব সাধারণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম তুলনা করা হয়। যেমন: কোন শহরের পাউরুটির দাম কতো? আর এই তুলনামূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরকে। মূলত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মূল্যের সাথে তুলনা করা হয় ওই ১৩৩টি শহরের জীবনযাত্রার দাম। তুলনা করা হয় সেই খরচ নিউইয়র্কের চাইতে কম নাকি বেশি। আরও পড়তে পারেন: মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক ভারতের সবচেয়ে ধুমধামের বিয়ে ঘিরে যত হৈচৈ বাংলাদেশেই সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে 'অতি ধনীর' সংখ্যা চুল কাটার সাথে তুলনা প্রতিবেদনটির লেখক রক্সানা স্ল্যাভচেভা বলেছেন যে প্যারিস ২০০৩ সাল থেকেই সবচেয়ে ব্যয়বহুল শীর্ষ দশ শহরের তালিকায় ছিল। এ থেকে ধারণা করা যায় যে, বসবাস করার ক্ষেত্রে প্যারিস আসলেও \"অত্যন্ত ব্যয়বহুল\" শহর। ইউরোপের অন্য শহরগুলোর তুলনায় এখানে শুধুমাত্র মদ, পরিবহন ও তামাকের দামেই ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়। আর বাকি সবকিছুর দামই আকাশছোঁয়া। উদাহরণস্বরূপ, একজন নারীর চুল কাটার পেছনে কতোই বা খরচ হতে পারে। তবে প্যারিসে সামান্য চুল কাটার জন্য গুনতে হবে ১১৯ ডলারেরও বেশি। যেখানে কিনা জুরিখে খরচ হয় প্রায় ৭৪ ডলার এবং জাপানের শহর ওসাকাতে লাগে ৫৪ ডলার। \"ইউরোপীয় শহরগুলোতে সাধারণত সবচেয়ে বেশি খরচ হয় গৃহস্থালির পণ্য, ব্যক্তিগত যত্নের পণ্য, বিনোদন এবং বিনোদন সংক্রান্ত অন্যান্য নানা পণ্য ও সেবা কিনতে গিয়ে। আর এই প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় প্যারিস-বাসীদের।\"- এমনটাই বলেছেন মিস স্লাভচেভা। একেকটি দেশের চুল কাটার খরচ একেক রকম। বিশ্বের শীর্ষ ব্যয়বহুল শহর: ১. সিঙ্গাপুর (সিঙ্গাপুর) ১. প্যারিস (ফ্রান্স) ১. হংকং (চীন) ৪. জুরিখ (সুইজারল্যান্ড) ৫. জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) ৫. ওসাকা (জাপান) ৭. সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া) ৭. কোপেনহেগেন (ডেনমার্ক) ৭. নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) ১০. তেল আবিব (ইসরায়েল) ১০. লস অ্যাঞ্জেলস (যুক্তরাষ্ট্র) কোন শহরের জীবনযাত্রা সবচেয়ে সস্তা? মুদ্রাস্ফীতি এবং অস্থির মুদ্রা বাজারের ফলে এ বছর সবচেয়ে সস্তা শহরের তালিকায় বড় ধরণের পরিবর্তন দেখা গেছে। এবারে জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, তুরস্ক ও ভেনিজুয়েলার মতো দেশগুলো। ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস, এই বছরের জরিপে সবচেয়ে সস্তা শহর হিসেবে শীর্ষস্থান পেয়েছে। এর কারণ গত বছর দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১,০০০,০০০%। যার কারণে দেশটির সরকার বাধ্য হয়েছিল ভেনেজুয়েলায় নতুন মুদ্রা চালু করতে। ব্লুমবার্গের মতে, গত ডিসেম্বরে রাজধানী কারাকাসে এক কাপ কফির দাম মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বেড়ে ৪০০ বোলিভারে দাঁড়ায়। ডলারের হিসাবে যা কিনা মাত্র ৬২ সেন্ট। এছাড়া যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক শহর বিশ্বের দ্বিতীয় সস্তা শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে। দ্য ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মতে, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ভাঙনের কারণে বিশ্বে সস্তা শহরের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে। বিশ্বের সস্তা শহরের তালিকা ১. কারাকাস (ভেনেজুয়েলা) ২. দামেস্ক (সিরিয়া) ৩. তাশখন্দ (উজবেকিস্তান) ৪. আলমাটি (কাজাখিস্তান) ৫. ব্যাঙ্গালোর (ভারত) ৬. করাচী (পাকিস্তান) ৬. লাগোস (নাইজেরিয়া) ৭. বুয়েনস আয়ার্স (আর্জেন্টিনা) ৭. চেন্নাই (ভারত) ৮. নয়া দিল্লি (ভারত)", "doc2": "Paris 30 ildən bəri hər il aparılan və dünya üzrə 133 şəhərin qiymətlərini müqayisə edən Economist Intelligence Unit sorğusu tarixində ilk dəfədir ki, üç şəhər birinci olub. Keçən il ən bahalı ikinci şəhər olan Fransanın paytaxtı bu il ilk onluğa düşən 10 Avropa şəhərindən biridir. Sorğuda çörək kimi ən ümumi məhsulların qiyməti müqayisə olunur. Sonra isə qiymətlərin, meyar kimi qəbul olunan New York-dakı qiymətlərə nisbətdə nə qədər artıb-azaldığı gözdən keçirilir. Saç kəsimi müqayisəsi Məruzənin müəllifi Roxana Slavcheva söyləib ki, dünyanın ən bahalı 10 şəhəri arasında Parisin adı 2003-cü ildən bəri çəkilir və burada yaşamaq \"son dərəcə bahadır\". \"Digər Avropa şəhərləri ilə müqayisədə, yalnız spirtli içkilər, nəqliyyat və tütün məmulatları daha ucuzdur,\" o deyib. Məsələn, qadınlar üçün orta hesablı saç kəsimi Parisdə 202 manata (119.04 dollar) başa gəlir. Sürixdə bu qiymət 125 manat (73.97 dollar) və Yaponiyanın Osaka şəhərində 90 manatdır. (53.46 dollar) \"Ev xərcləri, şəxsi qulluq, istirahət və əyləncə kateqoriyaları üzrə Avropa şəhərlərində qiymətlər daha yüksəkdir. Paris də bu kateqoriyaların uğurlu təmsilçisidir,\" xanım Slavcheva söyləyib. Dünyanın ən bahalı şəhərləri 1.Sinqapur (Sinqapur) 1.Paris (Fransa) 1.Honkonq (Çin) 4.Sürix (İsveçrə) 5.Cenevrə (İsveçrə) 5.Osaka (Yaponiya) 7.Seul (Cənubi Koreya) 7.Kopenhagen (Danimarka) 7.New York (ABŞ) 10.Tel Əviv (İsrail) 10.Los Angeles (ABŞ) Karakas dünyanın ən ucuz şəhəridir İnflyasiya və dəyişkən valyuta nəticəsində bu ilki sıralamada cüzi fərqlilik yaşansa da, Argentina, Braziliya, Türkiyə və Venesuelada qiymətlər kəskin şəkildə aşağı düşüb. Venesuelanın paytaxtı Karakas şəhəri dünyanın ən ucuz şəhəri olub. İnflyasiyanın 1000000% olduğu ölkədə hökumət keçən il yeni valyuta çıxarmaq məcburiyyətində qalıb. Bloomberg-ə əsasən, Karakasda ötən dekabrda cəmi bir həftə ərzində bir fincan qəhvənin qiyməti ikiqat artaraq 400 bolivara qalxıb (1 manat). Suriyanın Dəməşq şəhəri dünyanın ikinci ən ucuz şəhəridir. Economist Intelligence Unit deyib ki, siyasi və ya iqtisadi problemlər nəticəsində qiymətlərin ucuzlaşdığı şəhərlərin sayı artır. Dünyanın ən ucuz 10 şəhəri 1.Karakas (Venesuela) 2.Dəməşq (Suriya) 3.Daşkənd (Özbəkistan) 4.Almatı (Qazaxıstan) 5.Banqalor (Hindistan) 6.Karaçi (Pakistan) 6.Laqos (Nigeriya) 7.Buenos-Ayres (Argentina) 7.Çennai (Hindistan) 8.Yeni Delhi (Hindistan)"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40382777", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40379700", "doc1": "কয়েক দশকের মধ্যে উপসাগরীয় এলাকায় এত বড় সঙ্কট সৃষ্টি হয় নি সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমীরাত এবং বাহারাইন কাতারের কাছে দাবি জানিয়েছে তাদের আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে। তারা কাতারের কাছে আরও দাবি জানিয়েছে ইরানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সীমিত করতে হবে এবং তুরস্কে তাদের সেনা ঘাঁটি বন্ধ করতে হবে। এসব দাবি পূরণের জন্য দশদিন সময় দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাতার তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করার প্রয়াস নিয়েছে এবং বলেছে তারা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে না এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির তারা বিপক্ষে। কাতারের ওপর নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে দুই সপ্তাহের ওপর। কয়েক দশকের মধ্যে উপসাগরীয় দেশগুলোতে এটা সবচেয়ে বড়ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট। কাতারের দিক থেকে এই দাবির ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায় নি, তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এর আগে বলেছিলেন শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন না। তার দেশের বিরুদ্ধে \"কোনধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করার\" কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। আল জাজিরাকে কেন লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে? আন্তর্জাতিক সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আল জাজিরা একটি অন্যতম বড় নাম আরব দেশগুলো তাদের লিখিত দাবিতে জানিয়েছে আল জাজিরা এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সব সম্প্রচার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। টেলিভিশন সংস্থাটির একটি ইংরেজি ভাষার শাখা রয়েছে এবং আরবী উপগ্রহ চ্যানেলগুলোর মধ্যে এই চ্যানেলটির দর্শকই সর্বাধিক। উপসাগরীয় দেশগুলো এবং সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ দেশ মিশর অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে সংস্থাটি ইসলামপন্থী আন্দোলনকারীদের এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের মতামত এই চ্যানেলে তুলে ধরার ব্যাপারে তাদের উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। তবে আল জাজিরা এই দাবি অস্বীকার করেছে। খেতাব পাওয়া এই চ্যানেলের একজন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও মুখপাত্র জামাল আল শায়াল বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে বলেছেন: ''যেসব দেশ এই উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর সৃষ্টি অথবা তাদের অর্থ সহায়তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের দিক থেকে এধরনের অভিযোগ উদ্ভট।'' ''আমাদের নেটওয়ার্ক এমন কোন গর্হিত কাজ করেছে যার ফলে এধরনের হাস্যকর অভিযোগ যে তোলা যেতে পারে এমন কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারে নি।'' তিনি বলেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রেখে তাদের কর্মীরা কাজ করে যাবেন এবং ''ক্ষমতাবানদের সত্যের মুখোমুখি\" করার কাজ অব্যাবহত রাখবে। আরও পড়তে পারেন: কাতার সংকট: সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কাতার-সৌদি দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ কি কোনো পক্ষ নেবে? কেন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ? কাতার যদি এই দাবি না মানে? রয়টার্সের সূত্র থেকে শুধু এটুকুই বলা হয়েছে যদি দশদিন পার হয়ে যায় এবং কাতার এই দাবি মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই তালিকা বাতিল গণ্য হয়ে যাবে। এই তালিকার কিছু দাবি অবশ্যই কাতারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ আল থানি এ সপ্তাহে বলেছেন তার দেশ কোন ''বিদেশি নির্দেশনা'' মানবে না এবং ''আল জাজিরা চ্যানেল সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না কারণ এটা দেশটির অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়।'' তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া সহ আরও যেসব দাবি সৌদি আরব এবং অন্যরা তুলেছে, কাতার যে তা মানবে, তার কোন সম্ভাবনাই নেই। তুরস্ক ইতোমধ্যে তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, যদি আপোষের কোন জায়গা না থাকে, তাহলে কাতারের সামনে দুটি পথ খোলা থাকবে। হয়, এসব দাবি মেনে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে উপসাগরীয় আরব জোটে ফিরে যাওয়া। অথবা সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়া। কাতারে তুরস্কের অল্প কিছু সাঁজোয়া যান রয়েছে কাতারকে সমর্থন করছে কারা? নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার পর তুরস্ক কাতারকে বিমানে করে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠিয়েছে। রয়টার্স বলছে এ সপ্তাহে খাবারদাবার নিয়ে তাদের প্রথম জাহাজ কাতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর তুরস্ক থেকে কাতারে রপ্তানির পরিমাণ স্বাভাবিকের তিনগুণ বেড়েছে বলে তুরস্কের শুল্ক এবং বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন। তুরস্কের অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হচ্ছে ১০৫টি বিমান ভর্তি সরবরাহ তারা কাতারে পাঠিয়েছে, কিন্তু বিমানপথে সরবরাহ পাঠানোর ব্যাপারটি দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হবে না। কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স সংবাদ সংস্থা বলছে এই ঘাঁটি বন্ধ যে কোনরকম দাবি তুরস্কের সঙ্গে কাতারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে হস্তক্ষেপের সামিল। কাতারকে সাহায্য পাঠাচ্ছে ইরানও। তারা সমুদ্রপথে কাতারে প্রতিদিন ১,১০০ টন ফল ও সব্জি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানী সংবাদ সংস্থা ফার্স। তারা কাতারের সঙ্গে তাদের আকাশপথ বিমান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কারণ এখন সৌদি আরব এবং অন্য দেশগুলোর আকাশপথ ব্যবহার করার জন্য কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আমেরিকার অবস্থান কি? আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে আলোচনার পর এই দাবির তালিকা পাঠানো হয়েছে। তিনি কাতারের প্রতিবেশি দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে তাদের দাবি তারা ''যুক্তিগ্রাহ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য'' রাখে। আমেরিকা কাতারের আল উদেয়েদ-এর বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে। সংবাদদাতারা বলছেন এই দাবির তালিকা প্রণয়নে বিলম্বের ব্যাপারে আমেরিকায় সরকারের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছে। তারা চাইছে এই বিবাদ তাড়াতাড়ি সমাধান হোক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্প ট্রাম্প কাতারের ব্যাপারে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন, তিনি কাতারের বিরুদ্ধে ''উচ্চ পর্যায়ে'' সন্ত্রাসবাদে মদত দেবার অভিযোগ এনেছেন। তবে এই সঙ্কটে জড়িত সবগুলো আরব দেশই আমেরিকার মিত্র দেশ। এবং মধ্য প্রাচ্যে কাতারেই আমেরিকার সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।", "doc2": "Qətər böhranı Körfəz bölgəsində son onilliklərin ən kəskin böhranı sayılır Səudiyyə Ərəbistanı, Misir, Birləşmiş Ərəb Əmirlikləri və Bəhreyn Al Jazeera dövlət yayım şirkətinin bağlanmasını tələb edirlər. Qətərdən, həmçinin İranla əlaqələrin azaldılması və Türkiyə hərbi bazasının bağlanılması istənilir. Buna 10 gün möhlət verilib. Qətər terrorçuluq və regionda qeyri-sabitlik yaratmaqla bağlı ittihamları rədd edir. Ölkə iki həftədən artıqdır ki, misli görünməmiş diplomatik və iqtisadi təzyiqlərə məruz qalır. Bu Körfəz bölgəsində son onilliklərin ən kəskin böhranı sayılır. Qətərdən bu tələblərə dərhal cavab gəlməyib, lakin Xarici İşlər Naziri Şeyx Mohammed bin Abdulrahman al-Thani bundan əvvəl bildirib ki, cəza tədbirləri ləğv edilənə qədər danışıqlar aparılmayacaq. O, həmçinin ölkəsinin \"hər hansı terror təşkilatını\" dəstəkləməsi iddialarını təkzib edib. Al Jazeera ən böyük beynəlxalq televiziya və radio yayımçılarındandır Digər tələblər nədir? Siyahının surətini əldə edən olan Associated Press informasiya agentliyinin yaydığı məlumata görə, Qətər həm də bunları etməlidir: Dörd ölkənin birindən olan anonim rəsmi Reuters xəbər agentliyinə bildirib ki, Qətərdən özünü İslam Dövləti (İD) adlandıran qruplaşma, əl-Qaidə və Livanın Şiə yaraqlı qrupu Hizbullah ilə əlaqələrin kəsilməyi də istənilib. AP tərəfindən görülmüş sənədə əsasən, Qətərdən İranda diplomatik vəzifələri bağlamaq, İranın elitar İnqilab Qvardiyasının üzvlərini xaric etmək və İranla ticarəti yalnız ABŞ sanksiyalarına uyğun olaraq həyata keçirmək də istənilib. Ərəb ölkələrində çox izlənilən Al Jazeera-nın bağlanılmasının tələb edilməsi Fars körfəzi ölkələri və Səudiyyə Ərəbistanının yaxın müttəfiqi olan Misirlə əlaqələndirmək olar. Misir televiziya və radio yayımları şirkətini İslamçı hərəkatlar üçün platforma təmin etməkdə və yadfikirliliyə dəstək olmaqda günahlandırıb. Al Jazeera bu ittihamları rədd edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46305015", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-54182189", "doc1": "সারা দুনিয়া থেকে আসা হাজার হাজার প্রতিযোগীকে হারিয়ে সেরা পুরষ্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ম্যারি ম্যাকগাওয়ান। তার ছবি শিরোনাম ছিল 'কট ইন দ্যা অ্যাক্ট' (হাতেনাতে ধরা)। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পুরষ্কার জিতেছে অন্যান্য যে সব ছবি: সেরা ছবি ম্যারি ম্যাকগাওয়ানের ছবি: 'কট ইন দ্যা অ্যাক্ট' (হাতেনাতে ধরা)। লুকোচুরি করা হুতুম প্যাঁচার ছবি তুলে একটি ক্যাটগরিতে বিজয়ী হয়েছেন শেন কিনা। দেখে মনে হয় হাঙ্গরটি হাসছে। আন্ডার দ্যা সি ক্যাটগরিতে জিসেছেন টানিয়া হুপারম্যান। এই অবাক হয়ে যাওয়া প্যাঁচারি ছবি তুলে শিশু বিভাগে বিজয়ী হয়েছে ভারতের কাপুরথালার আর্শদীপ সিং। এই ভালুক পরিবারের ছবি তুলে অ্যামেজিং ইন্টারনেট পোর্টফোলিও বিভাগে জয়ী হয়েছেন ফিনল্যান্ডের ভ্যালতেরি মুলকাহাইন। প্রশংসা পেয়েছে যেসব ছবি: এই গণ্ডারটি যেন ব্যালে নাচের টুটু পরে রয়েছে। ভারতের গরুমারা ন্যাশনাল পার্কে এই ছবি তুলেছেন কল্লোল মুখার্জী। আলাস্কায় এই হতাশ ভালুকের ছবি তোলেন ড্যানিয়েল ডিআরনো। এই ফটোগ্রাফার শ্বেতভল্লুকের ছবি তোলেন রোই গালিৎস। সুইডেনে এই সার্কাস করা কাঠবেড়ালীর ছবি তুলেছেন গিয়ার্ট ভেগেনে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইওমিং-এ এক মুস আরেক মুসকে জিভ ভ্যাংচাচ্ছে। ছবিটি তুলেছেন বার্নি কজালকা। দুই গিরগিটির কোলাকুলি। শ্রীলংকার ইউলপাত্তুতে এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করেছেন সার্গেভ সাভি। কমেডি ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিএকটি বই প্রকাশ করছে, যার অর্থ দেয়া হবে বর্ন ফ্রি ফাউন্ডেশন চ্যারিটিকে।", "doc2": "Bu sünbülqıran sanki \"O sole mio\" mahnısını ifa edir Su samuru balası ilə Bu yenot ağacın budaqlarında ilişib, yoxsa belə dincəlir? Bu meymun digər meymunların quyruğundan yellənmək üçün istifadə edir İsrail səhrasında \"çətin danışıqlar\" Bu meymun isə elə bilir ki, onu heç kim görmür Deyəsən bu qorillanın kefi pozulub \"Bunların hamısını həzm edə biləcəksən? Bəlkə, paylaşasan?\" \"Mənim o qədər işim-gücüm qalıb... Şəkil çəkməyə yer tapmadız?\" \"Şəklimi çəkirsiniz? Buyurun, həmişə hazır\" Fotomüsabiqənin qalibləri oktyabrın 22-də elan olunacaq. ***"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44485122", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/44482540", "doc1": "এই সতর্কতা এসেছে শুধু রুশ নারীদের লক্ষ্য করে। কমিউনিস্ট পার্টির এমপি তামারা প্লেতনিওভা মস্কো রেডিওকে বলেছেন , তিনি 'জাতীয়তাবাদী নন' কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন যে রুশ নারীদের বিভিন্ন দেশ থাকা আসা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকা উচিত । তিনি মনে করেন, তা নাহলে 'তাদের সন্তানরা ভুগবে।' 'অলিম্পিকের শিশুরা'-এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেছেন। কারণ একটা কথা বলা হয় যে রাশিয়ায় ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর বিভিন্ন জাতির মিশ্রণে শঙ্কর শিশুর জন্মের হার নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। মিস প্লেতনিওভা বলেছেন, \"এর পর বিদেশি পিতারা তাদের সন্তানদের পরিত্যাগ করেছিল।\" \"পিতারা যদি একই জাতির হয় তাহলে সেটা অতো সমস্যা নয়। কিন্তু তারা অন্য জাতির হলেই একটা সমস্যা,\" বলেন তিনি। \"তাদেরকে ফেলে চলে যায় পিতারা। তারা তাদের মায়েদের সাথে এখানেই থেকে যায়। আমাদের তো উচিত আমাদের নিজেদের সন্তানদের জন্ম দেওয়া।\" 'বর্ণবাদকে না বলুন' অনলাইনে মিস প্লেতনিওভার কড়া সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ফিফা যে বর্ণবাদ-বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে, তার সাথে এই বক্তব্য সাংঘর্ষিক। রেডিওর একজন উপস্থাপিকা তায়ানা ফ্লেগেনগাওয়ার বলেছেন, এমপি প্লেতনিওভাও কি বলবেন যে তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। এর আগে টুইটারে একজন আইস স্কেটারের বর্ণবাদী মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তিনি দাবী করেছিলেন যে কেউ তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ওই মন্তব্য করেছে। ১২টি ভেন্যুতে একমাস ধরে চলবে এই বিশ্বকাপ। আরো পড়তে পারেন: একটি ফ্রিজের আগুন যেভাবে সারা বিশ্বের ট্র্যাজেডি বিশ্বকাপ ২০১৮: ইতিহাসের বিচারে কে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উন্মাদনা কবে থেকে? রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য কোন কোন সমালোচক মিস প্লেতনিওভার মন্তব্যের জন্যে তাকে রুশ সংসদ দুমা থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, \"রুশ এই এমপি প্রাপ্তবয়স্ক রুশ নারীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন।\" তবে সব মন্তব্যই কিন্তু তার জন্যে নেতিবাচক নয়। অনেকে মিস. প্লেতনিওভার কথার সাথে একমত পোষণ করেছেন। যেমন একজন লিখেছেন, \"আমাদের উচিত নিজেদের রুশ সন্তানকেই জন্ম দেওয়া।\" \"এমপি ভুল কী বলেছেন?\" আরেকজনের মন্তব্য। আবার কেউ কেউ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। যেমন একজন লিখেছেন, \"আমার মতে, সবারই মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, এমপি প্লেতনিওভারও সেই স্বাধীনতা আছে।\"", "doc2": "Dövlət Dumasında Kommunist Partiyasını təmsil edən Tamara Pletnyova bu barədə fikirlərilə paytaxt radiosuna verdiyi müsahibədə danışıb. \"Qovorit Moskva\" studiyasında millət vəkili ilə söhbət əsnasında \"Olimpiada uşaqları\" ifadəsi səslənib. 1980-ci illərdə yaranan bu ifadə Moskva Olimpiadasından sonra rusiyalı anaların dünyaya gətirdiyi qarışıq irsli uşaqları nəzərdə tutur. \"Olimpiada uşaqları\" Pletnyovanın sözlərinə görə əcnəbilərlə intim əlaqələr bir çox hallarda mənfi nəticə verir və hələ sovet dövrlərindən bəri belə uşaqlar \"əziyyət çəkib\". \"Biz dünyaya öz uşaqlarımızı gətirməliyik. Mən millətçi deyiləm, amma yenə də deməliyəm\", millət vəkili bildirib. Rusiyalı azarkeşlər \"Mən istərdim ki, bizim ölkədə qadınlar, milliyyətindən asılı olmayaraq, Rusiya vətəndaşları ilə, sevgi əsasında evlənsinlər, yaxşı ailə qursunlar, mehriban yaşasınlar, dünyaya uşaq gətirib onlara tərbiyə versinlər\". Virus yayılması barədə Daha bir rusiyalı millət vəkili isə əcnəbi vətəndaşların təhlükəli viruslar yaya biləcəyi ilə bağlı xəbərdarlıqla çıxış edib. Misir millisinin azarkeşləri Müdafiə Komitəsi sədrinin birinci müavini Aleksandr Şerin deyib ki, xarici qonaqlar bunu qəsddən də edə bilərlər. \"Hər bir cəhətdən qorunmaq lazımdır. Bu qab və şəxsi gigiyena əşyaları ola bilər. Kontrasepsiya vasitələri barədə isə ətraflı danışmağa heş ehtiyac yoxdur. Uşaq deyilik, hamı hər şeyi başa düşür\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47956790", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-47953808", "doc1": "ঘুম নিয়ে প্রচলিত নানা ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন গবেষকরা। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, রাতে ভাল ঘুমের ব্যাপারে সর্বাধিক প্রচলিত ধারণা বা দাবিগুলো ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করে। তারপর তারা সেই দাবিগুলোকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের সাথে মেলান এবং স্লিপ হেলথ জার্নালে সেই গবেষণা প্রকাশিত হয়। তারা আশা করেন যে ঘুম নিয়ে মানুষের এমন পুরনো ধারণা বা বিশ্বাসগুলো দূর করার ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি হবে। এখন আপনাদের মধ্যে কতজন এ ধরণের ধারণায় বিশ্বাস করার জন্য আফসোস করবেন? আরও পড়তে পারেন: কম ঘুমে আয়ু কমে: রাতের ভালো ঘুম যেভাবে পাবেন দিনের বেলার একটু ঘুম যেভাবে সুস্থ রাখতে পারে ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? অফিসের একটা সময়ে কিছুক্ষণের ঘুম কাজের গতি বাড়াতে পারে। ১. পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমিয়ে আপনি নিজেকে সামলাতে পারবেন এটা এমনই এক ধারণা যেটা কখনোই যাবেনা। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল দাবি করেছেন যে প্রতিরাতে চার ঘণ্টারও কম ঘুমিয়ে তিনি একটি সপ্তাহ কাটিয়ে দিতে পারেন। ব্যবসা বা উদ্যোক্তা পর্যায়ে সাফল্যের পেছনে অফিসের অতিরিক্ত সময়ে বিছানায় ঘণ্টা-খানেক ঘুমিয়ে নেয়ার যে একটা প্রভাব রয়েছে সেটা কমবেশি সবারই জানা। তবুও গবেষকরা বলেছেন যে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমানোকে স্বাস্থ্যকর বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে সেটা বরং স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। গবেষক ড. রেবেকা রবিন্স বলেন, \"দিনের পর দিন পাঁচ ঘণ্টা বা তারও কম সময় ঘুমানো যে স্বাস্থ্যের ভয়াবহ পরিণতির ঝুঁকি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, তার ব্যাপক প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।\" এর মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্র জনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি, যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া। তাই, তিনি সুপারিশ করেন যে, সবার প্রতিরাতে একনাগাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমের লক্ষ্য রাখা উচিত। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন না: বিএনপি মানুষের দ্রুত রাগের পেছনে রহস্য কী? ভারতে ভোটের প্রচারে তারকা ফেরদৌস, ক্ষুব্ধ বিজেপি শব-ই-বরাত পালিত হবে ২১শে এপ্রিলেই মদ খাওয়া ঘুমের জন্য উপকারি, এমনও ধারণা প্রচলিত আছে অনেক মাঝে। ২. বিছানা যাওয়ার আগে মদ পান করলে ঘুম ভালো হয় শরীর মন শিথিল করার এই উপায়টি পুরোপুরি বানোয়াট। গবেষক দলটি বলছে, সেটা এক গ্লাস ওয়াইন হোক, ড্রামভর্তি হুইস্কি হোক বা এক বোতল বিয়ার। \"এটি মূলত আপনার ঘুমের প্রাথমিক পর্যায়, অর্থাৎ যে সময়ে চোখের দ্রুত নড়াচড়া কমে আসতে থাকে সেই স্তরটিকে বাধা দেয়। ঘুমের এই পর্যায়টি স্মৃতিশক্তি ও শেখার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।\" তাই হ্যাঁ, মদ খাওয়ার পর আপনার হয়তো ঘুম ভাল হবে বা খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়বেন। তবে ঘুমের কারণে যে উপকারগুলো পাওয়ার কথা সেগুলো আর পাবেননা। অ্যালকোহল হল মূত্রবর্ধক পানীয়, তাই আপনাকে হয়তো মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে বারবার টয়লেটে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। অনেকে ঘুম না এলে বিছানায় শুয়ে টিভি দেখেন। ৩. বিছানায় শুয়ে টিভি দেখা আপনাকে শিথিল করতে সাহায্য করে আপনি কি কখনও ভেবেছেন \" বিছানায় যাওয়ার আগে আমার একটু শিথিল হওয়া দরকার, আমি কি তাহলে কিছুক্ষণ টিভি দেখবো?\" বিষয় হল, এই রাত করে টিভি দেখা আপনার ঘুমের জন্য খারাপ হতে পারে। ডাঃ রবিনস যুক্তি দেন: \" আমরা যদি টেলিভিশন দেখে থাকি, তাহলে প্রায়ই রাতের খবরগুলো দেখা হয়। এতে করে আপনি মানসিক চাপ সেইসঙ্গে অনিদ্রা রোগ বা ইনসোমনিয়ায় ভুগতে পারেন। যে সময় আপনার শরীর-মন শিথিল রাখার কথা সেই সময়ে অর্থাৎ বিছানায় শুতে যাওয়া থাকার আগে আপনাকে অনিদ্রা বা চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। গেম অব থ্রোনসের উদাহরণ দিতে গেলে কেউ যুক্তি দিতে পারবেনা যে, রেড ওয়েডিং পর্বটি শিথিল করার মতো ছিল। টিভির পাশাপাশি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে - এই ডিভাইসগুলো থেকে যে নীল আলো বের হয় সেটা শরীরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনকে বিলম্বিত করতে পারে। এক নারী আই মাস্ক পরে ঘুমাচ্ছেন। ৪. ঘুমানোর অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও যদি ঘুম না আসে তাও বিছানায় পড়ে থাকুন আপনি ঘুমানোর চেষ্টায় অনেক সময় নষ্ট করেছেন। এমনকি সারা নিউজিল্যান্ডের দুই কোটি ৮০ লাখ ভেড়ার সবকটি হয়তো আপনি গুনে শেষ করে ফেলেছেন। তাহলে আপনার পরবর্তীতে কি করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর হল, ঘুমের জন্য এতো চেষ্টা বন্ধ রাখতে হবে। \"আমরা অনিদ্রার সঙ্গে আমাদের বিছানার যাওয়ার বিষয়টিকে সংযুক্ত করলাম।\" ডাঃ রবিনস বলেন। \"একজন সুস্থ মানুষের বিছানায় যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসে। তবে ঘুম আসতে এর চেয়ে বেশি সময় লাগলে, অবশ্যই বিছানা ছেড়ে দিতে হবে। এরপর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। এমন কাজ করতে হবে যেখানে মস্তিষ্কের তেমন কিছু ভাবতে হবেনা। যেমন, মোজা ভাজ করা।\" আমরা অনেকেই অ্যালার্ম বাজার পর বার বার স্নুজ টাইম সেট করে রাখি। ৫. বারবার স্নুজ বোতামে চাপ দেয়া অনেকেই তাদের ফোনে একাধিক সময়ে স্নুজ টাইমার সেট করাটাকেই স্বাভাবিক মনে করেন। এটা ভেবে যে বিছানায় অতিরিক্ত ছয় মিনিটেই বুঝি বিশাল কোন পার্থক্য হবে। কিন্তু গবেষক দল বলেছেন যে যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে যায়, তখনই আমাদের উঠে যাওয়া উচিত। ডাঃ রবিনস বলেছেন: \"এতে আপনার মতো সবাই কিছুটা আধো ঘুম আধো জাগা অবস্থায় থাকলেও তারা স্নুজ করার প্রলোভনকে প্রতিরোধ করতে পারবে। \"প্রথম অ্যালার্ম বাজার পর স্নুজ দিয়ে আপনার শরীর হয়তো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। তবে সেই ঘুম হবে অনেক নিম্নমানের পাতলা ঘুম।\" তাই এ ধরণের উপায় আর পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে অ্যালার্ম থামার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের পর্দা খুলে দিন, এবং যতটা সম্ভব নিজেকে উজ্জ্বল আলোর সামনে রাখুন। নাক ডাকাও অনেক সময় চিন্তার কারণ হতে পারে। ৬. নাক ডাকায় কোন ক্ষতি নেই নাক ডাকা হয়তো ক্ষতিকারক নাও হতে পারে, তবে এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। এই রোগের কারণে আমাদের গলায় যে দেয়াল আছে সেটা ঘুমের সময় শিথিল এবং সংকীর্ণ হয়ে যায়। যার কারণে মানুষ অল্প সময়ের জন্য শ্বাস নিতে পারেনা। এ ধরণের মানুষেরা উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এমনকি হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকে। তবে এই নাক ডাকা যদি খুব জোরে হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে। ডাঃ রবিনস পরিশেষ বলেছেন: \"আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের মেজাজ, আমাদের ভালো থাকা এবং আমাদের দীর্ঘায়ুর উন্নয়নে আজকের রাত থেকে আপনি যা করতে পারেন তার মধ্যে ঘুম হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি।\"", "doc2": "Nyu-York Universitetinin ekspertlər qrupu keyfiyyətli gecə yuxusuyla bağlı internetdə dərc edilmiş tövsiyələri toplayaraq \"Yuxu sağlamlığı\" adlı elmi verilişdə bu tövsiyələrlə elmi həqiqətləri müqayisə ediblər. Ekspertlər hesab edirlər ki, yuxu mövzusunda doğru məlumatlandırma bizim fiziki və ruhi vəziyyətimizi yaxşılaşdırar. Beləliklə, yuxuyla bağlı 6 yanlış fikir: Beş saatdan az yatmaq kifayətdir Bu, tezliklə dəyişməyəcək fikrə bənzəyir. İngiltərənin keçmiş baş naziri Margaret Thatcher-in hər gecə sadəcə 4 saat yatdığı deyilirdi. Almaniyanın baş naziri Angela Merkel də buna bənzər bir fikir söyləmiş, yuxuda keçən zamanın işə sərf edilməsini uğur qazanmağın əsas şərtlərindən biri olaraq göstərmişdi. Amma araşdırmaçılar deyirlər ki, 5 saatdan az yuxunun yetərli olduğu iddiası yanlışdır və bu rejim orqanizmə ciddi zərər vurur. Araşdırmacı Dr. Rebecca Robbins qeyd edir ki, gecə 5 saat və daha az yatmaq sağlamlıq problemlərini ciddi səviyyədə artırır. Məsələn, ürək tutmaları və infarkt kimi ürək-damar xəstəliklərinin yaranması riskini artırır, ömrü qısaldır. Dr. Robbins hər gecə 7 və ya 8 saat yatmağın vacib olduğunu vurğulayır. Yatmazdan əvvəl spirtli içki içmək yuxunun keyfiyyətini yaxşılaşdırır Yatmazdan əvvəl bir qədəh şərab, viski və ya bir şüşə pivə içməyin yuxunun keyfiyyətinə yaxşı təsiri barədə deyilənlər də doğru deyil, araşdırmaçılar bildirir. \"O, yuxuya getməyi asanlaşdıra bilər, amma (spirtli içki) həmin gecə dincəlmək keyfiyyətini əhəmiyyətli şəkildə azaltmış olacaq\" - dr. Robbins belə deyir. Spirtli içkilər xüsusilə də yaddaş və qavrama üçün vacib olan REM yuxusuna zərər verir. Yəni spirtli içki içəndə daha rahat yuxuya getsəniz də, yuxunun bəzi faydalarından məhrum olursunuz. Spirtli içkilər həm də sidikqovucu xüsusiyyətə malikdir. Yataqda TV izləmək rahatlıq verir \"Yatmazdan əvvəl rahatlanmaq istəyirəm, bir az televizora baxacam\" dediyiniz olubmu? Halbuki xəbərləri izləmək və son baş verənləri öyrənmək yuxunuzu qaçıra bilər. Dr. Robbins qeyd edir ki, yatmazdan əvvəl xəbərlərə baxmaq rahatlıq əvəzinə yuxusuzluq və stress yaradır. Televizorlar, ağıllı telefonlar və planşetlərlə bağlı daha bir problem ondadır ki, bu cihazların ekranlarındakı mavi işıq yuxu hormonu olan melatoninin ifrazını geçikdirir. Yuxuya gedənə qədər yataqda qalın Yuxuya getmək üçün o qədər əlləşdiniz ki, ölkədəki bütün qoyunları saydınız. Bəs, bu da kömək etmədisə? Qoyunları rahat buraxın və yataqdan qalxın. Dr. Robbins: \"Yataqda çox eşələnmək olmaz, çünki beynimiz yatağı və yuxusuzluğumuzu eyni çərçivəyə salır. Normal halda yuxuya getmək 15 dəqiqədən artıq zaman almamalıdır. Bu baş verməyəndə, yataqdan qalxın, başqa otağa keçin, beyninizi çox da yormayacaq məşğuliyyət tapın. Məsələn, corablarınızı qatlayın\". Zəngli saatın ertələmə düyməsinə basmaq Çoxumuz yataqda daha uzun müddət qalmağa çalışaraq hər səhər telefondakı oyanma saatının vaxtını dəyişirik. Amma araşdırmaçılar bunun da yanlış olduğunu, zəng çalan kimi yataqdan durmaq lazım gəldiyini bildirirlər. Dr Robbins: \"Bəli, nəticədə daha yuxusuz oluruq, amma yenidən yatmağımızın da bir faydası yoxdur. Çünki bu, dərin olmayan və çox aşağı keyfiyyətli yuxudur\". Ən doğrusu dərhal qalxıb pərdələri açın ki otağa mümkün qədər çox işıq düşsün. Xoruldamağın heç bir zərəri yoxdur Xoruldamaq orqanizmə zərər vurmaya bilər, amma unutmaq olmaz ki, o, həm də yuxu təngnəfəsliyi xəstəliyinin əlamətidir. Bu xəstəlik yuxu zamanı boğaz divarlarının yumşalıb daralmasına yol açır və qısa müddətə də olsa, nəfəs kəsintisi yarana bilir. Yuxu təngnəfəsliyi olan şəxslərdə yüksək təzyiq, ürək ritmində nizamsızlıq, ürək tutması və infarkt riskləri artır. Yüksək səslə xoruldamaq da xəstəliyin əlamətlərindən biridir. Dr. Robbins son olaraq qeyd edir ki, \"səhhətimizi, ovqatımızı yaxşılaşdırmaq, ömrümüzü uzatmaq üçün elə bu gecə edə biləcəyimiz ən vacib şey yuxudur\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54322221", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-37533545", "doc1": "নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা মি. ট্রাম্প ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র যোগাড় করেছে। ২০১৬ সালে তিনি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তার পরের বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালনের সময় এই পরিমাণ কর দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনে যা বলা হচ্ছে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা ১৯৯০-এর দশক থেকে থেকে মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র জোগাড় করেছে। তারা লিখছে, ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই তিনি কোন আয়কর দেননি। নথিপত্রে 'ধারাবাহিক লোকসান' উল্লেখ করা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তিনি আয়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসান দেখিয়েছেন'। যদিও মি. ট্রাম্প এটিকে 'ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আমি আসলে আয়কর দিয়েছি। আমার ট্যাক্স রিটার্ন শেষ হলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। আমার আয়করের হিসাব-নিকাশ চলছে।\" তিনি আরও বলেছেন, \"আইআরএস (ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস) আমাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখে না। ওরা আমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে।\" নিজের ব্যবসা ও সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে মামলার মুখে পড়েছেন। মি. ট্রাম্প আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের পর থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের আয়কর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেননি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে কোন আইন নেই তবে প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে প্রার্থীরা সেটি করে আসছেন। এমন সময় এই তথ্য প্রকাশিত হল যার মাত্র কয়েকদিন পরই মি. ট্রাম্প প্রথমবার ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের সাথে বিতর্কে মুখোমুখি হবেন। প্রতিবেদনে আরো যা বলা হয়েছে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে রাজনীতি নয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী তারকা ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি একজন 'রিয়েল এস্টেট টাইকুন' হিসেবে পরিচিত। বিলাসবহুল গল্ফ কোর্স ও হোটেলের মালিক তিনি। মি. ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে তিনশ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়ার জন্য বিদেশি কর্মকর্তা সহ অনেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অর্থ দিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ভোটে হেরে গেলে ট্রাম্প কি ফলাফল মেনে নেবেন? ২০১৮ সালে মি. ট্রাম্প যে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন তাতে দেখা গেছে তিনি ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে, তার আয়কর বিষয়ক নথিতে দেখানো হয়েছে তিনি ৪৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করেছেন। মি. ট্রাম্প দা অ্যাপ্রেন্টিস নামে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন। হোয়াইট হাউজে প্রথম দুই বছর তিনি ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন যার উৎস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোন দেশ। এসব দেশের মধ্যে ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের নাম উঠে এসেছে। এমনকি 'দি অ্যাপ্রেন্টিস' নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য তিনি ৪২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। বিভিন্ন ব্রান্ড তার নাম ব্যবহার করবে সেজন্যেও তিনি ১৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এসব আয়ে তিনি কর প্রদান করেননি বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে। মি. ট্রাম্পের প্রতিপক্ষরা তার কড়া সমালোচনা করছেন। ওয়াশিংটনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত, হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, \"কর ফাঁকি দেয়ার নানা নিয়মাবলী নিয়ে মি. ট্রাম্প বেশ ভালই খেলেছেন। কর ফাঁকি দিতে তিনি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন।\" অন্যান্য খবর: দীপিকা পাডুকোন: কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই বলিউড তারকাকে সরকারের সঙ্গে আহমদ শফীর সখ্যতা বাংলাদেশকে যতটা বদলে দিয়েছে ধর্ম অবমাননার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরের সাজা খাটতে চাইলেন বিদেশী ঐতিহাসিক", "doc2": "New York Times qəzeti yazır ki, bu, respublikaçıların namizədinə təxminən 18 il qanuni yolla vergi ödəməkdən yayınmağa yardım edib. Onun kampaniyası cənab Trump-ın vergi bəyannamələrini dərc etməkdən imtina edib və onun zərərinin miqyası nə təsdiq, nə də təkzib edib. Demokratların namizədi Hillary Clinton onun vergi sənədlərinin xeyli hissəsini əldə edib. Bazar ertəsi ilk prezidentlik debatı zamanı xanım Clinton qeyd edib ki, rəqibi \"dəhşətli bir şeyi\" gizlədir. Xanım Clinton onu federal gəlir vergisini ödəməməkdə ittiham edərkən cənab Trump cavab verib: \"Bu, mənim ağıllı olduğumu göstərir\". Hillary Clinton təxminən son 40 il üçün vergi bəyannamələrini ictimaiyyətə təqdim edib. Xanım Clinton ilk debatda vergi məsələsini qabardıb \"Çox bacarıqlı iş adamı\" New York Times qəzetinin məqaləsində deyilir ki, sənədlər müxbirlərdən birinə ötən ay göndərilib. Daşınmaz əmlak maqnatının sabiq mühasibi, cənab Trump-ın vergi bəyannamələrini doldurmuş Jack Mitnick bildirib ki, sənədlər 1995-ci il sənədlərinin bir hissəsinin həqiqi surətidir. Şənbə günü cənab Trump New York Times-ı \"Clinton kampaniyasının bir hissəsi\" adlandırıb. Onun kampaniyası bildirib ki, cənab Trump \"çox bacarıqlı iş adamı\"dır və biznesi, ailəsi və işçiləri qarşısında qanunla nəzərdə tutulandan artıq vergi ödəməməyə məsuliyyətlidir. 1976-cı ildən bəri ABŞ-da prezidentliyə bütün namizədləri vergi bəyannamələrini ictimailəşdirib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48848612", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48854252", "doc1": "স্বামী ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে আছেন প্রিন্সেস হায়া ৬৯ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মেদ একজন বিলিয়নিয়ার। ইন্সটাগ্রামে কয়েকটি কবিতা পোস্ট করেছেন যেখানে একজন নারীকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দায়ী করেছেন। জর্ডান বংশোদ্ভূত ও ব্রিটেনে লেখাপড়া শেখা ৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রিন্সেস হায়া ছিলেন শেখ মোহাম্মেদের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী। বিভিন্ন স্ত্রীর ঘরে দুবাইয়ের এই শাসকের ২৩টি সন্তান আছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রিন্সেস হায়া প্রথমে জার্মানি গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে। এখন তিনি বাস করছেন লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনসের একটি টাউন হাউজে যার মূল্য প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলার। তিনি এখন আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ঘোড়া' বলায় দুবাইয়ে কারাগারে ব্রিটিশ নারী উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে বরগুনা হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্সেস হায়া, লন্ডনেই থাকতে চান তিনি কিন্তু কেন তিনি দুবাইয়ের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে পালিয়েছেন? আবার তিনি এখন জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন? তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে প্রিন্সেস হায়া সম্প্রতি তার স্বামীর এক কন্যা শেখ লতিফার দুবাই থেকে পালিয়ে আবার রহস্যজনক ফিরে আসার পেছনে কিছু বিষয় জেনে যান। শেখ লতিফা এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সাগর পথে পালিয়েছিলেন কিন্তু ভারতীয় উপকূলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের বাধা দেয় ও পরে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় দুবাইয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রিন্সেস হায়া তখন সেসময় আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসনের সাথে কাজ করেছিলেন। দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে যে শেখ লতিফা এখন দুবাইতে নিরাপদে আছেন, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে তাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর প্রিন্সেস হায়া সত্যি কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এ নিয়ে তার স্বামীর পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। একটি সূত্র জানায়, তিনিও অপহরণের শিকার হতে পারেন বলে এখন আশঙ্কা করছেন। যদিও লন্ডনে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। তারা বিষয়টিকে একজনের ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রিন্সেস হায়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং এখন তিনি যুক্তরাজ্যেই বসবাস করতে চান। তবে যদি তার স্বামী তাকে ফেরানোর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেন তাহলে এটা ব্রিটেনের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার বিষয় হবে। আরব আমিরাত যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ। ঘটনাটি জর্ডানের জন্যও বিব্রতকর কারণ প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর সৎ বোন। আবার জর্ডানের বিপুল সংখ্যক নাগরিক দুবাইতে কাজ করে ও বিপুল রেমিট্যান্স আয় করে। তাই দুবাইয়ের সাথে বিরোধে জড়ানো কঠিন হবে জর্ডানের জন্যও।", "doc2": "Dubay əmiri Şeyx Məhəmməd bin Rəşid əl Maktum və arvadı şahzadə Haya hər il İngiltərədə kraliyyət ailəsinin şərəfinə keçirilən \"Royal Ascot\" yarışlarına baxmaq üçün tez-tez bu ölkəyə gəlirdilər (20 iyun 2012) Şahzadə Haya Dubaydan bir neçə ay əvvəl qaçaraq Almaniyaya getmiş və bu ölkədən sığınacaq istəmişdi. Hazırda şahzadə Hayanın Londonun mərkəzindəki Kensington Palace Gardens rayonunda, təxminən 107 milyon dollarlıq bir evdə yaşadığı bildirilir. \"Guardian\" qəzeti yazır ki, cütlüyün ayrıldığı barədə təxminlər var, şahzadə Haya Dubayı tərk edəndən sonra Yüksək Məhkəmədə bununla bağlı iş açılıb. İordaniyada anadan olmuş, İngiltərədə təhsil almış 45 yaşlı şahzadə Haya şeyx Məhəmməd bin Əl Maktumun 6-cı arvadıdır, onlar 2004-cü ildə nikaha giriblər. 69 yaşlı Dubay əmiri Şeyx Məhəmmədin bütün arvadlarından 23 üç uşağı var. Dubay Birləşmiş Ərəb Əmirliklərini (BƏƏ) təşkil edən yeddi əmirliyin ən böyüyüdür. Şahzadə niyə qaçıb? BBC-nin təhlükəsizlik məsələləri üzrə əməkdaşı Frank Gardner-in şahzadəyə yaxın mənbələrdən əldə etdiyi məlumata görə, o, Şeyx Məhəmmədin evdən qaçmış qızı şahzadə Şeyha Lətifənin geri qaytarılmasıyla bağlı \"narahatlıq doğuran informasiyalar\" eşidəndən sonra Dubaydan gedib. Şahzadə Lətifə keçən il Birləşmiş Ərəb Əmirliklərindən qaçaraq Ammandan dəniz yolçuluğuna çıxmış, ancaq Hindistan yaxınlığında gəmiyə silahlı adamlar basqın edərək onu Dubaya qaytarmışdılar. O günlərdə şahzadə Haya Dubayı təmizə çıxaran açıqlamalar vermis, dubaylı məmurlar şahzadə Lətifənin qaçmasının \"sui-istifadə hallarını yol açdığını\" və onun \"Dubayda təhlükəsizlikdə\" olduğunu bildirmişdilər. Ancaq insan haqları müdafiəşiləri Lətifənin öz iradəsinə zidd olaraq qaçırıldığını deyirlər. Şahzadə Hayanın yaxınları onun da qaçırılmaqdan və Dubaya qaytarılmaqdan qorxduğunu bildirirlər. Birləşmiş Ərəb Əmirliklərinin Londondakı səfirliyi mövzunun \"iki şəxs arasındaklı şəxsi məsələ\" olduğunu əsas gətirərək açıqlama verməkdən imtina edib. Şahzadə Haya (sağda) şahzadə CHarles və arvadı Camilla ilə Londonda (5 sentyabr 2018) Bəzi ehtimallara görə, bu hadisə İngiltərə və BƏƏ arasında diplomatik problem yarada bilər. Təxmin edilir ki, Oxford Universitetinin məzunu şahzadə Haya İngiltərədə qalmaq istəyəcək. Amma əmir Məhəmməd bin Rəşid əl Maktum arvadının geri qaytarılmasını tələb edərsə, BƏƏ ilə yaxın münasibətləri olan Böyük Britaniya çətin vəziyyətdə qalacaq. Yeri gəlmişkən, İngiltərədə yarış atları və at ferması olan Şeyx Məhəmməd bu ölkədəki məşhur at yarışlarında tez-tez kraliça II Yelizavetayla birlikdə görünür. Hadisənin başqa bir beynəlxalq ünvanı İordaniyadır. Şahzadə Haya İordaniya kralı Abdullanın ögey bacısıdır. Bundan başqa, BƏƏ-də təqribən 250 min iordaniyalı işçi var. Onlar bu ölkədə qazandıqları pulları vətənlərinə göndərirlər. BBC-nin təhlükəsizlik məsələləri üzrə əməkdaşı Frank Gardner hesab edir ki, bu məqam İordaniyanı da BƏƏ ilə münasibətləri korlamaqdan çəkindirə bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52117376", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52121434", "doc1": "যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, ঘ্রাণ না পাওয়া বা স্বাদ হারানো হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের এমন চার লাখের বেশি মানুষের মধ্যে একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই গবেষণাটি করেছে কিংস কলেজ লন্ডন। তবে ঘ্রাণ না পাওয়া বা স্বাদহীনতা সাধারণ জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশির মতো আরও অনেক ফুসফুসের জটিলতার ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে জ্বর এবং কাশি হওয়া, যা দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তারা বলছেন, যদি আপনার মধ্যে অথবা আপনি যাদের সঙ্গে বসবাস করেন, তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে কাশি বা জ্বর দেখা যায়, তাহলে তাদের উচিত বাড়ির ভেতরেই থাকা,যাতে তার করোনাভাইরাস হয়ে থাকলেও অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। করোনা ভাইরাস: শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর করোনাভাইরাস সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? গবেষণায় কি পাওয়া গেছে? কিংস কলেজের গবেষকরা চেয়েছিলেন করোনাভাইরাসের লক্ষণ সম্পর্কে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা, যাতে বিশেষজ্ঞরা রোগটি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং ঠেকাতে লড়াই করতে পারেন। করোনাভাইরানের লক্ষণ শনাক্ত করার ওই অ্যাপটিতে রিপোর্ট করা মানুষজন যেসব লক্ষণ থাকার কথা বলেছেন, সেগুলো হলো: চার লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ১৭০২ জন জানিয়েছেন যে, তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭৯ জনের মধ্যে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে এবং ১১২৩ জনের মধ্যে রোগটি পাওয়া যায়নি। যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে, তাদের ৫৯% স্বাদ বা গন্ধহীনতার শিকার হয়েছেন বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। স্বাদ ও গন্ধহীনতা কী প্রধান লক্ষণ বলে ধরা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত এখনো নেই। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের তালিকায় এই দুইটি বিষয় এখনো সংযোজন করেনি। যুক্তরাজ্যের যে সংস্থা নাক, কান ও গলা চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব করে, সেই ইএনটি ইউকে বলছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিছু রোগীর ক্ষেত্রে স্বাদ হারানো বা গন্ধহীনতার লক্ষণ দেখা গেছে, কিন্তু এগুলোকে এখনো নির্দিষ্ট করে কোভিড-১৯ রোগের সাথে সম্পৃক্ত করা যাচ্ছে না। কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা বলেছেন, ঘ্রাণ হারানো বা স্বাদ হারানোর মতো বিষয়গুলো করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার অতিরিক্ত লক্ষণ হিসাবে দেখা যেতে পারে। হয়তো সেগুলোই একমাত্র লক্ষণ হিসাবে নয়,বরং কাশি ও জ্বরের পাশাপাশি সেগুলোও বিবেচনা করা যেতে পারে। এই দলের প্রধান গবেষক টিম স্পেকটর বলেছেন, ''আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি তিনগুণ হারে তারা স্বাদ বা গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন। ফলে এই ব্যক্তিদের উচিত অন্তত সাতদিনের জন্য স্বেচ্ছা আইসোলেশনে চলে যাওয়া, যাতে তারা আক্রান্ত হয়ে থাকলেও ভাইরাসটির বিস্তার না ঘটে।''", "doc2": "Londondakı Kings College Universitetinin alimləri Covid-19 simptomları ilə bağlı 400 mindən çox insanın smartfon tətbiqinə verdiyi cavabları təhlil ediblər, BBC-nin səhiyyə məsələləri üzrə redaktoru Michelle Roberts-in məlumatında deyilir. Ancaq qoxu və iybilmə hissinin yoxa çıxması adi soyuqdəymə kimi digər yoluxucu respirator xəstəlikləri vaxtı da müşahidə oluna bilər. Buna görə mütəxəssislər müayinə və müalicənin təyin edilməsində qızdırma və öskürək kimi simptomlara diqqət yetirməyi tövsiyyə edirlər. Əgər sizdə və ya sizinlə birgə yaşayan şəxsdə (şəxslərdə) davamlı öskürək və ya yüksək temperatur varsa, virusun yayılması riskini azaltmaq üçün evdə qalmaq məsləhətdir. Araşdırma nəyi üzə çıxarıb? Kings College Universitetinin alimləri xəstəliyi daha yaxşı başa düşmək üçün, koronavirus infeksiyasına xas olan simptomlar barədə bütün məlumatları bir araya gətirməyə çalışıblar. “Covid Symptom Tracker” proqram əlavəsini istifadə edənlər aşağıdakı simptomlar barədə bildirirlər: 400 min istifadəçi şəxsi məlumatlarını bölüşüb. Bunlardan 1702-si Covid-19-u müəyyən edən testdən keçib. Nəticələrə görə 579 nəfərdə virus aşkar olunub, daha 1123 şəxsin virusdan azad olduğu təsdiqlənib. Koronavirus infeksiyasına yoluxanların beşdə üçü (59%) qoxu və ya dadbilmə hissini itirdiyini deyir. İy və dadbilmə hissinin yoxa çıxması koronavirusun əsas simptomlarına aid edilməlidirmi? Mütəxəssislər hələ ki, kifayət qədər dəlil olmadığını söyləyirlər. İngiltərənin səhiyyə qurumu ilə Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) onları koronavirusun əsas əlamətlərinə aid etməyib. Qulaq, burun və boğaz həkimlərini təmsil edən ENT UK birliyinə əsasən, xəstələrdən bənzər şikayətlərin daxil olması təəccüb doğurmamalıdır. Lakin bu simptomlar yalnız koronavirusa yoluxma vaxtı müşahidə olunmur. Britaniya tədqiqatçıları deyirlər ki, iy və dadbilmə hissinin itkisi öskürək və qızdırma kimi mühüm simptomlarla yanaşı nəzərdən keçirilən əlavə əlamətlər ola bilər. Başqa əlamətlərlə yanaşı iy və dadbilmə hissini itirənlər arasında koronavirusa yoluxanların sayı üç dəfə artıq olur, Kings College alimlər qrupunun aparıcı tədqiqatçısı professor Tim Spector bildirir. Onun sözlərinə görə, belə təqdirdə virusun yayılmasının qarşısını almaq üçün özünü təcrid etmək tövsiyyə olunur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44181827", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-44180808", "doc1": "সেন্ট জর্জ জ্যাপেল গির্জায় রাজকীয় দম্পতি। সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল গির্জায় ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এবং ৬০০ নিমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিতিতে তারা বিয়ের শপথ-বাক্য পাঠ করেন এবং আঙটি বদল করেন। ব্রিটিশ ডিজাইনার ক্লেয়ার ওয়েইট কেলারের তৈরি বিয়ের পোশাক পরে মেগান মার্কল যখন গির্জায় এসে হাজির হন তখন শ্বশুর প্রিন্স চার্লস তার হাত ধরে তাকে বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। বিয়ের পর প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কলের উপাধি হবে ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্স। বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমরিকান টকে-শো হোস্ট ওপরাহ্ উইনফ্রে, অভিনেতা জর্জ ক্লুনি ও তার স্ত্রী আমাল, সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম ও তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া, টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস এবং গায়ক এল্টন জন। এই বিয়ে উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষ উইন্ডসরে হাজির হন। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশনে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেন। যে মুহূর্তে মেগানের ঘোমটা খুললেন প্রিন্স হ্যারি। রানী এলিজাবেথ এবং তার স্বামী এডিনবরার ডিউক বাদে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে প্রিন্স হ্যারির ভাই ডিউক অফ কেমব্রিজ উইলিয়াম, মামা আর্ল স্পেন্সার, ডাচেস অফ ইয়র্ক সারাহ্ ফার্গুসন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সহ কোন রাজনীতিককে এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ এটি কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছিল না। বিবিসির রাজপরিবার সংক্রান্ত সংবাদদাতা জনি ডাইমন্ড বলছেন, যেভাবে পুরো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল, সেই বিবেচনায় এটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের এক রাজকীয় অনুষ্ঠান। অন্যান্য বিয়ের অনুষ্ঠানের যেমনটি আগে দেখা গেছে, এই বিয়েতে বড় বড় কেক তৈরি করা হয়নি। রাজকীয় অনুষ্ঠানে গির্জার মধ্যে এবার গসপেল কয়্যার সামগান পরিবেশন করেছে। উইন্ডসর প্রাসাদে এই প্রথমবারের মতো সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে ১২০০ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে 'পিপলস প্রিন্সেস' অর্থাৎ জনগণের রাজকুমারী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিয়েও জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে বলে জনি ডাইমন্ড বলছেন। মেগান মার্কলের মা ডরিয়া র‍্যাগল্যান্ডকে বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে।", "doc2": "Şahzadə Harry və Meghan Markle-ın Windsor qəsrininin Müqəddəs Georg kilsəsində Cütlüyü öz gözləri ilə görmək istəyənlər Windsor küçələrinə axışır, yüzlərlə insan isə ən yaxşı \"baxış nöqtəsini\" seçə bilmək üçün gecəni açıq səma altında keçirib. Meghan-ın atası Thomas səhhəti ilə bağlı olaraq toy mərasimində iştirak etmədiyi üçün gəlini şahzadə Charles müşayiət edib. Nikah İngiltərə vaxtı ilə 12-də (Bakı vaxtı ilə 15:00) başlayıb və təxminən bir saat keçmiş cütlük və qonaqlar kilsəni tərk edib. Mərasimə ən sonda gələnlərdən biri Böyük Britaniya Kraliçası II Elizabeth olub Meghan Markle mərasimə ağ donda gəlib ABŞ TV ulduzu Oprah Winfrey və britaniyalı aktyor Idris Elba nikahdan əvvəl Windsor şəhərindəki Müqəddəs Georg kilsəsinə gedirlər. Toy ərəfəsində, şahzadə Harry özünü rahat hiss etdiyini, Markle isə möhtəşəm hiss etdiyini deyib. Tədbiri izləməyə gələnlər arasında şən atmosferin olduğu xəbər verilir Windsor şəhərindəki tədbirə dəvətlilər arasında 1200 ictimai xadim olub. Şənbə günü Windsor-un qatar stansiyasında nikahı izləməyə gələnlərin sayı xeyli artıb Onlardan çoxu xeyriyyəçilik sahəsində fəaliyyətinə görə tanınmış simalardır. Britaniyanın Baş naziri Theresa May də daxil, siyasətçilər dəvət olunmayıb, çünki nikah rəsmi dövlət tədbiri sayılmır. Şənbə günü nikahdan əvvəl Müqəddəs Georg kilsəsində giriş bəzədilib Müqəddəs Georg kilsəsi Windsor qəsrində yerləşir Meghan Markle-ın anası - Doria Ragland gəlin tərəfindən tədbirə qatılan yeganə ailə üzvü idi. Müqəddəs George kilsəsinə ən birinci şahzadə Harry, daha sonra xanım Markle gəlib. Mərasimə ən sonda gələnlərdən biri Böyük Britaniya Kraliçası II Elizabeth olub. Meghan Markle-ın anası - Doria Ragland gəlin tərəfindən tədbirə qatılan yeganə ailə üzvüdür."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52392799", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52369066", "doc1": "ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ আসন্ন বসন্তকাল ও গ্রীষ্মকালে মানুষকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। ভিটামিন ডি খুব সহজেই আমরা গ্রহণ করতে পারি। শরীরে রোদ লাগলে আমাদের ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করে। সূর্যালোক, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান আমাদের শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচায় - যা মহামারি পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজনীয়। কী পরামর্শ দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ? যুক্তরাজ্যে শীতকালে (অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত) মানুষকে দিনে অন্তত ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি গ্রহণ করার উপদেশ দেয়া হয়। আর যদি যথেষ্ট সময় ধরে সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসা হয়, তাহলে সারা বছরই ১০ মাইক্রোগ্রাম করে ভিটামিন ডি খেতে বলা হয়। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, করোনাভাইরাসে লকডাউনের সময় মানুষকে ঘরে থাকতে বলার কারণে তারা সূর্যালোকের সংস্পর্শ বঞ্চিত এবং ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি বঞ্চিত হতে পারে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ সারা বছর ভিটামিন ডি গ্রহণ করার উপদেশ দিয়ে থাকে, যদি: আবার অপেক্ষাকৃত কৃষ্ণবর্ণের মানুষের ত্বকের পিগনেন্ট মেলানিন সূর্য থেকে যথেষ্ট পরিমাণ রশ্মি শোষণ করতে দেয় না, যার ফলে ত্বক প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের সরকারও একই ধরণের উপদেশ দিয়েছে তাদের নাগরিকদের। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? অভ্যন্তরীন জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ দূর করতে পারে ভিটামিন ডি কেন ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়? সবল হাড়, দাঁত ও পেশীর জন্য ভিটামিন ডি দরকার হয়। ভিটামিন ডি'র অভাবে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের হাড়ের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিছু গবেষণায় ধারণা করা হয় যে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকলে সাধারণ সর্দিজ্বর ও ফ্লু'র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে, যদিও ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে - এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে কি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত? উত্তর হলো, না। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বা ট্যাবলেট খুবই নিরাপদ হলেও প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আপনি যদি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে চান: যাদের ভিটামিন ডি'র স্বল্পতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ডাক্তাররা অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে বলে থাকেন। আবার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে - যেমন কিডনির সমস্যা - নিরাপদে ভিটামিন ডি নেয়া যায় না। কিছু সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে এটি কি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে? ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হবেন না, এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মহামারির সময় এই ভিটামিন নেয়ার আলাদা উপকারিতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে মেডিসিনের ইমেরিটাস প্রফেসর জন রোডস বলেন, ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরীণ জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়তা করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অত্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রদাহের কারণে ফুসফুসে বড় ধরণের ক্ষতি হয়, যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর হতে পারে ভিটামিন ডি। তবে এই বিষয়ে আরো অনেক গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন অধ্যাপক রোডস। খাদ্যাভ্যাসে কি পরিবর্তন আনতে হবে? ভারসাম্যপূর্ণ সুষম খাদ্য খেলেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর থাকে, আলাদা কোনো খাবার বা খাদ্য উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হঠাৎ উন্নতি সাধন করবে না। শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। তবে মাছ, ডিম, দইয়ের মত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।", "doc2": "Biz, adətən, bu vitamini açıq havada gəzərkən günəş şüalarının bədənimizin açıq hissələrinə dəyməsi ilə qəbul edirik. D vitaminini həm də \"günəş vitamini\" adlandırırlar. O, digər vitaminlərlə yanaşı infeksiyalarla mübarizə aparır. Bu, xüsusilə pandemiya dövründə vacibdir. D vitaminini qəbul etmək kimlər üçün xeyirlidir? Tövsiyələr Hələ koronavirus epidemiyasından əvvəl britaniyalılara tövsiyə edilmişdi ki, qış aylarında (oktyabrdan marta qədər), küçədə kifayət qədər vaxt keçirmirlərsə, il boyu hər gün 10 mkq D vitamini qəbul etsinlər. Britaniyalı mütəxəssislər aşağıdakı hallarda D vitaminini gündəlik qəbul etməyi tövsiyə edirlər: Tünd dəri rəngi olan insanlar açıq havada vaxt keçirsələr də, kifayət qədər \"günəş vitamini\" almaya bilərlər. Vitamin D nə üçün lazımdır? D vitamini dişləri, sümükləri və əzələləri möhkəmləndirir. Körpələrdə bu vitaminin çatışmazlığı raxit-sümüklərin inkişaf etməməsi və skeletin deformasiyası- xəstəliyinə, böyüklərdə isə osteomalasiyaya - sümüklərin mineral çatışmazlığından yumşalmasına gətirib çıxara bilər. Bəzi araşdırmalar göstərib ki, bu vitamin bizə adi soyuqdəymə və qriplə mübarizə aparmağa kömək edir. Lakin D vitamininin immuniteti yüksəltməsi barədə məlumat yoxdur. Bəzi araşdırmalar D vitamininin aşağı səviyyəsini və mövsümi depressiyanı əlaqələndirirlər. Bu vitaminin çatışmazlığının hətta əsəb sisteminin fəaliyyətinə və psixi sağlamlığa təsir edə biləcəyi barədə məlumatlar var. Bu vitamini böyük dozalarda qəbul etmək olarmı? Bunu etmək məsləhət görülmür. Qida əlavəsi kimi D vitamini zərərsiz olsa da, onun uzun müddət gündəlik və çox qəbulu zərər verə bilər. Təhlükəsiz dozalar belədir: Bəzi hallarda həkim dozanı artıra bilər. Bəzi xəstəliklərdə, məsələn, böyrək xəstəliklərində bu vitaminin qəbulu məsləhət görülmür. D vitamini koronavirusdan qoruya bilərmi? Xeyr, qoruya bilməz. Bu vitaminin koronavirusdan qoruya bildiyi barədə hər hansı sübut yoxdur. Bununla yanaşı, mütəxəssislər hesab edir ki, pandemiya zamanı bu vitamin \"xeyirsiz deyil\". Vitaminli qida əlavələri bədənində D vitamini çatışmazlığı olanların əhvalını yüksəldə bilər. Yeməklərdə kifayət qədər vitamin D varmı? Adına baxmayaraq D vitamini əslində bədənin kalsium qəbuluna cavab verən hormondur. Ona yağlı balıq növlərindən və yumurtadan başqa heç harada rast gəlinmir. Lakin bizim dərimiz ultrabənövşəyi şüaların təsiri altında adi xolesteroldan öz hormonunu yaradır. Bəzi istehsalçılar yoqurtlara, yulafa və marqarinə sintezləşdirilmiş vitamin əlavə edirlər. Vitamin çatışmazlığını necə bilməli? Yay aylarında günəşi havalarda bu vitaminə təlabat çox fərdi xarakter daşıyır və dəri rəngi, bədəndə yağ miqdarı, orqanizmin sümük skeletini neçə müddətə əmələ gətirdiyi kimi göstəricilərdən asılıdır. Bu, çox çətin prosesdir\", - Warwick Universitetinin tibb tarixçisi Robert Beavney deyir. Buna görə də D vitaminin çatışmazlığını simptomlarla deyil, qan analizi ilə müəyyən etmək lazımdır. Günəş vannası qəbul etsək? Bu yolla böyük doza D vitamini qəbul edə bilməzsiniz, lakin dəri yanığı əldə edə bilərsiniz. Buna görə də, həddindən artıq günəş qəbul etmək lazım deyil və dərini günəş kremləri ilə və ya geyim vasitəsi ilə qorumaq lazımdır. Uşaqlar və hamilələr nə etməlidir? Həkim məsləhəti belədir:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45327381", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45317196", "doc1": "ভারতের দিল্লীতে বায়ু দূষণের শিকার এক পরিবার। চার বছর ধরে চীনের ২০ হাজার মানুষের উপর এক গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, তাদের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে। গবেষকরা মনে করেন, এ গবেষণাটি বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক। বিশ্বজুড়ে শহরাঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ বায়ু দূষণের মধ্যে বসবাস করছে। বায়ু দূষণের শিকার ব্যক্তিদের গণিত এবং মৌখিক কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল তাদের বুদ্ধিমত্তা যাচাই করা। গবেষেকরা দেখেছেন যে যারা বায়ু দূষণের শিকার তারা সেসব পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনি। পরীক্ষায় ভালো না করা এবং বায়ু দূষণের মধ্যে সংযোগ থাকলেও, এর কারণ এবং প্রভাব নিয়ে কোন কিছু প্রমাণ হয়নি এ গবেষণায়। চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকার ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ গবেষণায় তারা বায়ুতে সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং ১০ মাইক্রোমিটারের ছোট ধূলিকণা পরিমাপ করেছেন। তবে এ তিনটি দূষিত কণার মধ্যে কে কতটা দায়ী সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। কার্বন মনোক্সাইড, ওজন এবং বড় ধরনের কণাগুলো এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আরো পড়ুন: বায়ু দূষণ কি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় প্লাস্টিক রিসাইকেলের কারণে কি দূষণ কমছে? দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি : সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা বায়ু দূষণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বায়ু দূষণকে অদৃশ্য ঘাতক হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখ মানুষ অপরিণত বয়সে মারা যায়। বায়ু দূষণের কারণে আলজেইমারস এবং স্মৃতি ভ্রমের ঝুঁকি তৈরি করে। ইয়েল স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক শি চেন বলেন, \"গবেষণায় আমরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছি তার মাধ্যমে আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি যে কোন বয়সের মানুষের উপর বায়ু দূষণ কতটা প্রভাব ফেলে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য নতুন একটি বিষয়।\" এ গবেষণার সময় ২০১০ সালে থেক ২০১৪ সাল সময়ের মধ্যে ১০ বছর এবং তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। তাদের বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার জন্য ২৪টি গণিত এবং ৩৪টি শব্দ চিহ্নিত করার প্রশ্ন দেয়া হয়েছিল। এর আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে বায়ু দূষণের কারণে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন পূর্বের গবেষণার ফলাফলের সাথে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল মিলে গেছে। যারা বায়ু দূষণের শিকার হচ্ছেন তাদের মগজ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বায়ুতে যেসব দূষণ কণিকা থাকে সেগুলো ছোট রাস্তা দিয়ে সরাসরি মগজে গিয়ে পৌঁছে। দূষণের শিকার অনেকের মাঝে মানসিক সমস্যাও তৈরি করতে পারে। এদের মধ্যে অনেকে মানসিক চাপে ভুগতে থাকে। বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণের চিত্র . বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় . পৃথিবীর ৯১ শতাংশ মানুষ এমন জায়গায় বসবাস করে যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি . পৃথিবীর যে ২০টি শহর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের মধ্যে আছে তার মধ্যে ভারতের ১৪টি শহর রয়েছে। উত্তরাঞলের কানপুর শহর এ তালিকায় সবচেয়ে উপরে . বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০জনের মধ্যে নয়জন দূষিত বায়ু সেবন করে। গবেষকরা বলছেন, যেসব বয়স্ক মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম তারা সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ঝুঁকিতে আছেন। কারণ তারা প্রায়ই ঘরের বাইরে নানা ধরণের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে বায়ু দূষণের ঝুঁকি কমানো বেশ কঠিন কাজ বলে বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। এ বিষয়টিকে বেশ উদ্বেগের বলে বর্ণনা করেছেন গবেষকরা। কারণ বৃদ্ধ বয়সে মানুষকে নানা ধরণের আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বায়ুদূষণের কি প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর", "doc2": "Dehli şəhərində ailə çirkli havadan qorunmağa səy göstərən zaman. Tədqiqatçılar hesab edir ki, havanın çirklənməsinin mənfi təsiri yaş artdıqca güclənir, təhsil və maariflənmə səviyyəsi aşağı olan yaşlı kişilərə çirkli havanın mənfi təsiri daha güclü ola bilər. Alimlərə görə, məhz bu kateqoriyaya aid insanlar ev xaricində, açıq havada aparılan işlərdə daha çox iştirak edirlər. ABŞ və Çinin qarışıq elmi qrupu 4 il ərzində 20 min adamın riyazi və danışıq qabiliyyətinin havanın təsiri altında necə dəyişdiyini izləyib. Tədqiqatçılar əldə etdikləri nəticələrin qlobal miqyasda faydalı ola biləcəyinə ümid edirlər. Alimlərin qeyd etdiyinə görə, indi bütün dünyada şəhər sakinlərinin təxminən 80 faizi çirkli hava ilə nəfəs alır. Tədqiqat Pekin Universiteti ilə ABŞ-ın Yale Universiteti arasında əməkdaşlıq əsasında aparılıb - tədqiqat zamanı kükürd dioksidi, azot dioksidi və ölçüsü 10 mikrometrdən az olan hissəciklərin insanın beyninə təsiri araşdırılıb. Dəm qazı, ozon və daha iri hissəciklər tədqiqatda nəzərə alınmayıb. \"Görünməz qatil\" adlanan çirkli hava təxminlərə görə, hər il dünyada 7 milyon insanın ölümünə səbəb olur, Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı (ÜST) xəbər verir. Milli Elmlər Akademiyasının bülletenində bazar ertəsi dərc olunmuş tədqiqatın nəticələrində qeyd olunub ki, \"havanın çirklənməsinin yaşlı kişilərə daha çox mənfi təsir göstərdəyinə dair sübutlar gətirilib\". Çirkli hava eləcə də Alzheimer və əqli zəiflik və ya demensiya kimi xəstəliklərə də səbəb ola bilər. Əvvəlki tədqiqatlarda havanın çirklənməsinin tələbələrin dərketmə qabiliyyətinə təsiri araşdırılmışdı. Alimlərə görə, havanı çirkləndirən maddələr insanın beyninə müxtəlif yollarala təsir edə bilər - zəhərləyici maddə beyin nahiyəsinə sızaraq birbaşa təsir göstərrə bildiyi halda, digər maddələr psixoloji təsir göstərərək depressiya riskini artırmış olur. Dünya miqyasında havanın çirklənməsi statistikası Mənbə: Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatı Qeyd edilir ki, araşdırmanın nəticələri Çinə aid olsa da, inkişafda olan digər ölkələrdə də havanın çirklənməsi ilə bağlı vəziyyətə işıq sala bilər. Müəlliflər qeyd ediblər ki, yoxsul ölkələrdə əhalisi 100,000-dən çox olan şəhərlərin 98 faizində havanın təmizliyi Ümumdünya Səhiyyə Təşkilatının müəyyən etdiyi sanitar normalara cavab vermir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47466420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47481856", "doc1": "বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার কাইলি জেনার। কার্দাশিয়ান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ আয় করেছেন প্রসাধনীর ব্যবসা থেকে। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী 'কাইলি কসমেটিকস' এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনবছর আগে তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে আনুমানিক ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রসাধন বিক্রি করেছে। এর আগে ২৩ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। \"আমি এরকম কিছু আশা করিনি। আমি ভবিষ্যৎ অনুমান করিনি।\" \"কিন্তু স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে, মনে হচ্ছে কেউ উৎসাহ দিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলো\", ফোর্বসকে বলেন মিজ. জেনার। তালিকা অনুযায়ী, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তি। আরো পড়তে পারেন: বাড়িতে পোষা সিংহের হাতে নিহত যুবক যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে মি. বেজোসের মোট মূল্য ৯.১ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৭ ট্রিলিয়নে নেমেছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণও গত এক বছরে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গতবছর ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস সংশ্লিষ্ট কেলেঙ্কারির কারণে ফেসবুকের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। বিশ্বের সকল বিলিয়নিয়ারদের এই তালিকায় নারীর সংখ্যা মাত্র ২৫২ জন। স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান চীনের ওউ ইয়াজুন, যার আনুমানিক মূল্য ৯.৪ বিলিয়ন ডলার। এবারই প্রথম স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিলিয়নিয়ার নারীর সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ৭২ জনে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৫৬। ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে কার কত সম্পদ আছে সে অনুযায়ী ফোর্বসের এই বিলিয়নিয়ারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ঐ দিন সারাবিশ্বে মূদ্রার বিনিময় হার এবং স্টকের মূল্য বিচার করে করা হয় তালিকাটি। ফোর্বস বলছে - ২০১৯' বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫৩ জন, যেখানে ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২,২০৮। বিশ্বের শীর্ষ দশজন ধনীর তালিকায় রয়েছনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। বিলিয়নিয়ারদের গড় মূল্য ৪.১ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ফোর্বসের মতে, এই বিলিয়নিয়ারদের ৯৯৪ জনের সম্পদের পরিমাণই আগের বছরের চেয়ে কমেছে। এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের নাগরিক রয়েছেন ৫২ জন - যাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীচান্দ হিন্দুজা এবং গোপিচান্দ হিন্দুজা। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিন্দুজা গ্রুপের কর্ণধার এই দুই ভাইয়ের মোট মূল্য ১৬.৯ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়নিয়ার রয়েছেন ৬০৭ জন, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন, যাদের বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩২৪ জন। তবে চীনা বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। নতুন ৪৪ জন চীনা নাগরিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কিন্তু ১০২ জন তালিকা থেকে বাদও পরেছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় থাকা ২৪৭ জন বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৈধ হ্যাকিং করে কোটিপতি যে কিশোর", "doc2": "Kylie Jenner 21 yaşlı Kylie Jenner milyardlarını özünün kosmetika şirkəti sayəsində qazanıb. Beləliklə, bu məşhur qız 23 yaşında milyarder olmuş \"Facebook\" qurucusu Mark Zuckerberg-i taxtından endirib. Təxminlərə görə, Kylie Jenner-in öz adını verdiyi kosmetika brendinin məhsulları keçən il 360 milyon dollar civarında gəlir gətirib. Kylie şirkətini 4 il əvvəl qurub. Jenner \"Forbes\" jurnalına verdiyi açıqlamada deyib ki, bu işə başlayanda heç bir gözləntisi olmayıb, varlanmağı planlaşdırmayıb: \"Amma (qabiliyyətimin təsdiqi) gözəl duyğudur. İnsanların təqdirini görmək xoşdur\". Bəs, Kylie Jenner necə varlanıb? Kosmetika brendi Dodaqları nazik olduğu üçün natamamlıq kompleksi keçirdiyini etiraf edən Jenner 2015-ci ildə \"Kylie Cosmetics\" brendini yaradıb. Onun məhsulları internetdə digər məşhur brendlərdən qat-qat çox diqqət çəkib. Kylie-nin məhsulları o qədər populyarlaşıb ki, tezliklə hamısı satılıb qurtarıb. Nə də olsa, Kylie Jenner bir sosial media dahisidir, axı. Kylie Jenner Şirkətin əsas hədəf kütləsi \"İnstaqram\"dakı 18-34 yaş aralığındakı 128 milyon izləyicisidir. Xərci az, gəliri çox Şirkətin xərcləri gəlirlərindən xeyli azdır - \"Forbes\" jurnalı bu xəbəri keçənilki nömrələrin birinin üz qabığında dərc etmişdi. Bunun səbəbi məhsulların internet üzərindən satılmasıdır. Əməliyyatlara və istehsala başqa insanlar nəzarət edir. Jenner son dərəcə məşhur sosial media fenomeni olduğu üçün marketinqə, demək olar ki, qəpik-quruş xərcləyir. Kris Jenner - həm ana, həm menecer Kris Jenner həm ana, həm də fövqəladə qabiliyyətə malik menecer olaraq övladlarının maliyyə işlərini idarə edir. Ailəsi məhz onun sayəsində nəhəng biznes imperiyaya çevrilib. Gəlirin 10 faizi həcmində qonorar alan Kris Jenner maliyyə məsələlərindən tutmuş ictimaiyyətlə əlaqələrə qədər bir xeyli işi təkbaşına görür. Kylie Jenner-in bazara çıxardığı dodaq boyasının dərhal satılması Krisə bu sahədə iş fürsəti olduğunu nişan verib. \"Shopify\" adlı platformadan istifadə edən menecer ana \"Kylie Cosmetics\"-in daha geniş satış meydanına çıxmasına şərait yaradıb. Kris Jenner (solda) \"Kylie varlı ailədə doğulub\" \"Forbes\" jurnalının Kylie Jenner-i gənc yaşda öz bacarığıyla milyarder olmuş biri kimi tanıtması sosial mediada fərqli şərhlərə səbəb olub. Xeyli sayda sosial media istifadəçisi Jenner-in əvvəldən varlı olduğunu yazaraq buna etiraz edib. Kylie məşhurluğuyla hamının tanıdığı bir ailədə dünyaya gəlib. Bu ailə 10 ildir ki, populyar mədəniyyətin diqqət mərkəzindədir, xüsusilə də televiziyada \"Keeping up with the Kardashians\" (Kardashian-larla ayaqlaşmaq) şousu göstərilməyə başlayandan bəri. Kardashian və Jenner-lər ailəsi kosmetikadan tutmuş geyim sektoruna qədər bir çox sahədə fəaliyyət göstərir. Kylie Jenner 10 yaşından etibarən televiziya proqramlarında iştirak edir. Kim Kardashian bacısını müdafiə edərək deyib ki, o, valideynlərindən məsləhətdən başqa bir şey almayıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-37538064", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-37543080", "doc1": "সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা কালো কাপড় পড়ে মিছিল করছেন সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে দেশটির নারীরা ধর্মঘট পালন করছেন। তারা কাজে যাচ্ছেন না, যাচ্ছেন না স্কুল কলেজেও, এমনকি করবেন না ঘরের কাজও। সকাল থেকেই রাজধানী ওয়ারশ'তে বিক্ষোভকারীরা কালো কাপড় পড়ে মিছিল করছেন। তারা দিনটির নাম দিয়েছেন ব্ল্যাক মানডে, মানে কালো সোমবার। ইতিমধ্যেই ধর্মঘটে যোগ দিয়ে নিজেদের দোকানপাট বন্ধ রেখেছে বহু প্রতিষ্ঠান। আইসল্যান্ডে ১৯৭৫ সালে পালিত সর্বাত্মক নারী ধর্মঘটের মতই পালন হচ্ছে এই কর্মসূচি। তবে দেশটির বড় শহরগুলোর বাইরের এলাকাগুলোয় এই কর্মসূচি কতটা পালিত হচ্ছে সেটা জানা যায়নি। সারাদেশেই পালিত হচ্ছে এই ধর্মঘট এই কর্মসূচীর বিপরীতে অবশ্য পোল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে গর্ভপাত বিরোধী বিক্ষোভও চলছে। গর্ভপাতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রথম এসেছিল স্টপ অ্যাবরশন নামে একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। আইনটি পাশ হলে আদালত সেই সব নারীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারবে, যারা গর্ভপাত করাবেন। যেসব চিকিৎসক এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন, শাস্তি দেয়া যাবে তাদেরও। তবে আইনটির বিপক্ষের মানুষেরা বলছেন, আইনটি পাস হলে কোন নারীর অনিচ্ছাকৃত বা দুর্ঘটনাবশত গর্ভপাত ঘটলে সেটিও তদন্ত করে দেখা হবে। ফলে আইনটির অপব্যবহারের আশংকা রয়েছে।", "doc2": "Reproduktiv hüquqların matəmi işarəsi kimi qadınlar qara geyinərək etiraz edir Onlar etirazlarını reproduktiv hüquqlarının matəmi işarəsi kimi qara geyinib küçələrdə nümayiş edərək bildiriblər. Etirazçı qadınlar işə və məktəbə getmir, ev işlərini görməkdən boyun qaçırır. Polşalılar bu nümayiş növündə - Qara Bazar ertəsi 1975-ci ildə İslandiya qadınlarının etirazından ilhamlanıb. Həm Varşavada, həm də rayonlarda etiraz edən qadınların sayı hələlik bilinmir. Parlamentdə ilkin müzakirədən keçmiş qanun layihəsi qəbul edilərsə, bu ölkədə digər iki Avropa ölkəsi - Malta və Vatikandakı kimi abort etmək qadağan ediləcək. Bu qaydanı pozan qadınları isə 5 il həbs cəzası gözləyir. Abortu həyata keçirən həkimləri də həbs gözləyir. Polşada abort, bir sıra halları çıxmaqla, əsasən qadağandır."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40503160", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40503279", "doc1": "ইসলামিক স্টেট'র উত্থানের জন্য অনেকে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করে। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামের প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন এবং জিহাদি গ্রুপগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক এ গবেষণা সংস্থাটি বলছে , উগ্র ইসলামী মতবাদ প্রচার করে এমন সংগঠনগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ সাহায্য পাচ্ছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী তুলেছে সংস্থাটি। তবে ব্রিটেনে অবস্থানরত সৌদি দূতাবাস এ ধরনের বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর চাপ বাড়ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে কাজ এখনো শেষ হয়নি এবং কবে নাগাদ শেষ হবে সেটিও কেউ বলতে পারছে না। গবেষণা সংস্থা হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি বলছে, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ ব্রিটেনের বিভিন্ন মসজিদ এবং ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে উগ্র মতবাদ ছড়িয়ে পড়ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের পর ইরানের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। ব্রিটেনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে এ ধরনের রিপোর্ট ভিত্তিহীন। উগ্র মতবাদ ছড়ানোর বিষয়ে সৌদি আরবের জড়িত থাকার কোন প্রমাণ নেই। সৌদি আরব বলছে তারা নিজেরাই বিভিন্ন সময় আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের হামলার শিকার হয়েছে। বিবিসি'র নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা বলছেন, উগ্র মতবাদ ছড়ানোর জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করে রিপোর্টটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর উগ্র মতবাদ ছড়ানোর জন্য কাতারকে দায়ী করেছে। আরো পড়তে পারেন: ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়? যে কারণে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিয়ে রুখতে নিজের হাত কাটলেন নবম শ্রেণীর বিথী মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প", "doc2": "Henry Jackson Cəmiyyəti bildirib ki, xaricdən maliyyələşdirilən islamçı təşkilatlar, nifrət nitqi yayan vaizlər və zorakılığı təbliğ edən cihadçı qruplar arasında \"aydın və artan əlaqə\" var. Xarici işlər üzrə təhlil mərkəzi Səudiyyə Ərəbistanı və digər Fars Körfəzi ölkələrinin rolunu ictimai şəkildə sorğulamağa çağırıb. Səudiyyə Ərəbistanının Böyük Britaniyadakı səfirliyi deyib ki, iddialar \"tamamilə yalandır\". Nazirlər Böyük Britaniyada mənzillənmiş islamçı qruplar üzrə məruzənin dərc edilməsinə görə təzyiq altındadır. 2015-ci ildə sabiq Baş Nazir David Cameron-un göstərişi ilə cihadçı təşkilatların mövcudluğu və təsiri üzrə daxili işlər nazirliyinin hesabatının başa çatdırılacağı deyilsə də, onun nə zaman dərc olunacağı barədə suallar var. Tənqidçilər hesab edirlər ki, bu, Körfəz ölkələri, xüsusilə də Səudiyyə Ərəbistanı ilə sıx və çoxillik diplomatik, təhlükəsizlik və iqtisadi əlaqələrə malik olan dövlət üçün rahat mütaliə olmaya bilər. Çərşənbə günü yayımlanan hesabatda deyilir ki, bir sıra Fars Körfəzi ölkəsi, eləcə də İran ekstremist vaizlərin nitq söyləməsinə və ekstremist materialların yayılmasına şərait yaradan məscid və İslam təhsil müəssisələrinə maliyyə dəstəyi göstərir. Hesabatda bildirilir ki, siyahının zirvəsində Səudiyyə Ərəbistanı var. Hesabatın iddiasına görə, bir sıra fiziki şəxslər və fondlar \"mədəniyyətsiz, fanatik Vəhabi ideologiyasının\" ixracına cəlb olunub. Səudiyyənin Londondakı səfirliyi məsələ ilə bağlı bəyanat yayıb və iddiaları \"əsassız ittihamlar\" adlandırıb. Bəyanatda o da deyilib ki, Səudiyyə Ərəbistanı dəfələrlə əl-Qaidə və özünü İslam Dövləti (İD) adlandıran qruplaşma tərəfindən hücuma məruz qalıb."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50051616", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-50807892", "doc1": "টিমোর ফ্ল্যাটের লাউঞ্জেই চালু হয়েছিল গৌস্তো টিমো বোলড্ট যখন ২৬ বছরের টগবগে উদ্যমী তরুণ ছিলেন, তখন সুপারমার্কেটে যাবার সুযোগই পেতেন না তিনি। সেই ২০১২ সালে, লম্বা সময় ধরে অফিসের কাজের পর বাসায় ফিরে সহজে রান্না করা যায়, কিন্তু যা খেতেও ভালো তেমন কিছু খেতে ইচ্ছে হতো টিমো বোলড্টের। টিমো বলছিলেন, \"অনেক সময় রান্নার সময় থাকলেও দেখা যেতো কিছু খাবার হয়তো নষ্ট হতো। কখনো আবার অনলাইনে খাবারের রেসিপি ঠিকমত করা যেতো না।\" এরকম অবস্থায় কীভাবে নিজের খাবারের সমস্যার সমাধান করবেন, কীভাবে রান্না-বান্নার বিষয়টিকে সহজ করে যায়— এই নিয়ে ভাবতে থাকেন তিনি। এই নিয়ে যখন গবেষণা শুরু করলেন তখন টিমো দেখলেন, তার মতন সময়ের টানাটানিতে যারা থাকে তাদের আসলে এমন একটা প্রতিষ্ঠান দরকার যেখানে রান্নার সকল উপাদান আগে-ভাগেই পরিমাপ করে কেটে-কুটে গুছিয়ে বাক্সে ভরে রাখা হবে। সাথে দেয়া থাকবে সহজে রান্নার রেসিপি বা দিক-নির্দেশনাটাও। তারপর সেই বাক্সটা ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দিতে হবে। ব্যাস! সেই সময়, আজ থেকে বছর সাতেক আগে, এই জাতীয় খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করার প্রতিষ্ঠান ছিল অল্প কিছু। তেমনি একটি জার্মানির 'হ্যালোফ্রেশ'। রেসিপি বক্স সরবারহের এই ব্যবসায় এখন অনেক প্রতিযোগিতা টিমোর মনে হলো, এই ধরণের খাবারের চাহিদা সামনে আরো বহুগুণ বাড়বে। তাই, একদিন চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে নিজেই এই জাতীয় খাবার সরবরাহ করার ব্যবসায় নেমে গেলেন। খুলে বসলেন তার প্রতিষ্ঠান 'গৌস্তো'। সেদিনের সেই ছোট্ট দোকানের আজ বার্ষিক বেচা-বিক্রির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এখন তার ব্যবসার লগ্নিতেও রয়েছে প্রায় সমপরিমাণ অর্থ। টিমো বোলড্টের মতন এখন আরো অনেকেই এই ব্যবসায় এসেছেন। যেমন 'সিম্পলি কুক', 'মাইন্ডফুল শেফ' ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠান মিলে এই ব্যবসা এখন একটা বৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যে এই শিল্প বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ডের অনেক বেশি ব্যবসা গড়ে তুলেছে। প্রতি মাসে গৌস্তো এক লাখের বেশি বক্স পাঠায় মানুষের কাছে ২০২৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে এই ব্যবসা প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্যে পরিণত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। গৌস্তো বর্তমানে তার লোকবল আরো বাড়াচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা যুক্তরাজ্যে ৫শ থেকে বাড়িয়ে ১২ শত হতে যাচ্ছে। টিমোর জীবন টিমোর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বার্লিনে। পরবর্তীতে লন্ডনে চলে আসেন তিনি। নিজের ব্যবসা চালু করতে সেই সময় নিজের সঞ্চয় থেকে ৭৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে গৌস্তো চালু করেন টিমো। পরে পরিবার আর বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে আরো প্রায় দেড় লাখ পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি। তবে, ব্যবসার একদম শুরুটা ছিল বলতে গেলে একেবারে কপর্দকহীন। তার উপর চাকরি ছেড়ে দেয়ায় মাস শেষে বেতনের টাকাটাও পাওয়া বন্ধ। টিমো বলছিলেন, সেই সময় সারাদিন ধরে তিনি বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে গবেষণা চালাতেন। এসব করতে-করতেই টিমোর বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের মধ্যে একটা সাড়া পাওয়া যায়। তবে, ব্যবসা শুরুর পর প্রথম তিন বছর নিজে কোন অর্থ পারিশ্রমিক নিতে পারেননি। তবু দিনমান গৌস্তো নিয়ে মেতে থাকতেন তিনি। এসব করতে গিয়ে পারিবারিক জীবনেও খানিকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গৌস্তোর পাঠানো রেসিপি অনুসরণ করে বানানো খাবার টিমো বলছিলেন, \"আমি আমার গ্রাহকদেরকে নিজের নাম্বারটা দিই। যদিও এই বিষয়টা আমার স্ত্রী খুব অপছন্দ করেন। কারণ এমনকি মধ্যরাতেও কেউ-কেউ ফোন করে নিজের পার্সেলের খবর জিজ্ঞেস করে।\" শুরুর দিকে টিমোর ব্যবসাটা পূর্ব লন্ডনে ভালো করে। আরো পড়তে পারেন: যেসব খাবারে প্রতি পাঁচ জনে একজনের অকাল মৃত্যু হচ্ছে জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব তারপর তাদের মুখ থেকেই গৌস্তোর কথাটা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পরে বলে জানালেন এই ব্যবসায়ী। গৌস্তো'র যাত্রা তরুণ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বা অন্টারপ্রেনারশিপ নিয়ে বিবিসির টিভি অনুষ্ঠান 'ড্রাগন্স ডেন' এ ২০১৩ সালে অংশ নিয়েছিলেন টিমো। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে আসা পাঁচজন ব্যবসায়ীর কেউই তখন টিমর প্রতিষ্ঠানে লগ্নি করতে রাজি হননি। সেই সময়ে মাসে মাসে প্রায় ২৫ হাজার পাউন্ড করে লোকসান গুনছিলেন তিনি। বর্তমানে গৌস্তো'র অফিস রয়েছে হ্যামারস্মিথ ও ওয়েস্ট লন্ডনে। আর নিজস্ব একটা কারখানা রয়েছে লিঙ্কনশায়ারে। প্রতিমাসে গৌস্তো এখন গড়ে আড়াই লাখ প্যাকেট খাদ্য সরবরাহ করে। ব্যবসায় এখনো তার লোকসান হয় বটে। কিন্তু টিমো বলছেন, তার নজর ব্যবসা প্রসারের দিকেই বেশি। \"মুনাফার চেয়ে আমরা আরো বেশি বিনিয়োগ করতে চাই।\" ব্রেক্সিট নিয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন টিমো কারা গ্রাহক? মিন্টেল নামে একটি প্রতিষ্ঠান যেটি খুচরা বাজার বিষয়ে গবেষণা করে সেটির কর্মকর্তা নিক ক্যারোল বলছিলেন, যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভালো মূলত তারাই এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক। নিক ক্যারল আরো বলছিলেন, গৌস্তোসহ এই জাতীয় আরো যত কোম্পানি আছে তাদের জন্য সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে প্যাকেজিং বা খাবার প্যাকেটজাত করাই অন্যতম প্রধান ইস্যু। টিমো জানালেন, খাবার প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যাবহার কিভাবে আরো অন্তত ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টা তিনি করছেন। পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিকল্পও খুঁজছে তারা। খাবারের অপচয় রোধেও তারা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য কম্পিউটারের এলগোরিদমের সাহায্যে নিচ্ছে তারা। তাছাড়া খাবারের প্যাকেটের যে মূল্য পড়ে সেটিও একটা চিন্তার কারণ। প্যাকেটের দাম গত কয়েক বছরে ১০-১৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু তবু এখনো তা সস্তা নয়। দুইজন মানুষের জন্য দুই পদের রেসিপি দিয়ে খাবারের প্যাকেট অর্ডার করলে বর্তমানে দাম পড়ে ২৪.৯৯ পাউন্ড। টিমো বলছিলেন, ২০১৭ সালে তিনি খাবারের মূল্য কিছুটা কমাতে সক্ষম হন। কারণ তখন তার ব্যবসাটা অর্থনৈতিকভাবে বড় পরিসরে বেড়ে ওঠে। তবে এই খাবার আরো সহজলভ্য করতে চান টিমো। যদিও গৌস্তোকে যুক্তরাজ্যের বাইরে ছড়িয়ে দেবার কোনো পরিকল্পনা এখনি টিমোর মাথায় নেই। তবে ব্রেক্সিটের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব তার ব্যবসায় কী পড়তে পারে - তা নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত টিমো। তার মতে, ব্রেক্সিটের ফলে, মোটাদাগে, ব্যবসায় একটা নেতিবাচক প্রভাব হয়তো পড়বে। তবে, গৌস্তো'র উপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী টিমো বোলড্ট।", "doc2": "Mathias bu dolabda 12 həftə ərzində yaşayıb Həmin öçerklərdən birində söhbət Memory adlı Norveç texnoloji şirkətin qurucusu Mathias Mikkelsen haqqındadır. Mathias Mikkelsen biznesini qurmağa o qədər can atırdı ki, üç ay dolabda yatıb. 2013-cü ilin sonlarında, o zaman 23 yaşlı sahibkar öz startup ideyası üçün dəstək tapmaq məqsədiylə Norveçdən Kaliforniyadakı Silikon Vadisinə köçdü. Həmin startup ideyası Timely adlı bir onlayn layihəsi və vaxtı təşkiletmə sxemi idi. Norveçli üçün yalnız bir böyük problem var idi - o, San Francisco Bay bölgəsində bir nəfər belə tanımırdı. \"O vaxt Norveçdə həqiqətən texnoloji startup üçün bir mühit yox idi. Buna görə qərara gəldim ki, dünyanın texnoloji paytaxtı olan Silikon Vadisinə yollanmaq mənim üçün ən yaxşı qərar olar,\" - Matias deyir. \"Ancaq mən orada heç kimi tanımırdım. Odur ki, ora çatanda insani instinktim işə düşdü və qarşıma qoyduğum ilk məqsəd dost tapmaq oldu. Sonra anladım ki, insanların çoxu iş və ya universitet vasitəsiylə dost tapır, mən isə işə girmək və ya tələbə olmaq niyyətində deyildim\". Üç ay dolabda yaşadıqdan sonra Mathias haker evini bir nəfər tərk etdiyinə görə, nəhayət, çarpayı əldə edə bildi Buna görə də çox qısa bir zamanda tənha qalmaq perspektivi ilə qarşılaşan Mathias bic bir plan hazırladı. \"Mən qərara gəldim ki, Airbnb vasitəsiylə şərikli kirayə əsasında evlərdə otaq tutum və hər həftə yeni bir yerə köçüm, - o deyir. - Bu yolla, orta ehtimal qaydası ilə dostlar tapmağa başlayardım.\" Mathias-ın planı özünü doğrultdu: növbəti aylar ərzində yavaş-yavaş yoldaşlar çevrəsi yaranmağa başladı. Lakin o özünə yeni bir məqsəd seçdi - \"haker evinə\" düşmək. Haker evi texnologiyalar sahəsində biznes qurmağa, biznes təşəbbüslərini həyata keçirməyə çalışan bir qrup gənc sahibkarın şərikli olaraq qaldıqları evə deyilirdi. Bu cür şərikli sxem iştirakçılar arasında ideya, məsləhət və əlaqələrin mübadiləsinə şərait yaradır. 2014-cü ilin ortalarında o, nəhayət Silikon Vadisində belə bir evə köçməyə nail ola bildi, amma orada bir problemlə üzləşdi; yataqların hamısı tutulmuşdu. Odur ki, həmin evdə qalmaq istəyirdisə, bunun üçün yalnız bir imkan var idi: pəncərəsiz bir dolabda, hava doldurulan döşəkdə yatmaq. İndi 29 yaşında olan Mathias deyir ki, o, bu şansı əldən buraxmadı. \"Mən üç ay bu dolabda yatdım. Özümü axmaq birisi kimi hiss edirdimmi, utanırdımmı? Əsla, yox, - o deyir. - Haker evində qaldığım dövrü də özüm üçün çox qiymətli sayıram. Bir sahibkar kimi bunun mənə çox böyük xeyri oldu. Düşünürəm ki, həmin təcrübə olmadan bu günədək əldə etdiklərimə nail ola bilməzdim\". Mathias-ın Memory adlı şirkətində indi 45 işçi işləyir Hazırda Mathias-ın Timely adlı zaman menecmenti tətbiqi 160 ölkədə 5000-dən çox şirkətdə işlədilir. Norveçin uzaq şimalında doğulmuş Mathias paytaxt Oslonun ətrafında yerləşən bir şəhərdə böyüyüb. O deyir ki, uşaqlıqda peşəkar futbolçu olmaq, İngiltərənin Manchester United futbol klubunda oynamağı arzulayıb, lakin sonradan yeniyetmə yaşlarında kompüter proqramları yazmağı daha çox meylli olduğunu anlayıb. Hələ orta məktəbdə oxuyarkən o, əlavə məşğulluq kimi şirkətlər üçün vebsayt dizaynı işini görürdü və bundan qazancı da olurdu. Mathias deyir ki, \"ilk ödəniş gələnə qədər\" valideynləri onun bu cür işlərini alqışlamırdı. 18 yaşında məktəbi bitirdikdən sonra o, Osloda bir sıra rəqəmsal dizayn şirkətlərində işləmişdir. Həmin dövrdə o, o cümlədən, Norwegian Air hava yolları şirkəti üçün uçuş zamanı işlədilən əyləncə proqramı yaratmışdı, UNİCEF xeyriyyəçiliyi üçün isə bir Facebook kampaniyası təşkil etmişdi. Lakin özü özünün patronu olmaq və öz biznesini qurmaq ideyasını gerçəkləşdirmək üçün o, Timely layihəsi üzərində işləməyə başladı. Mathias ilk iterasiyasını 2013-cü ilin mayında, hələ Osloda yaşayarkən yaratdı, lakin bu ona \"heç nə vermədi\". \"Facebook-da bəziləri layk etdi, dostlarımdan \"əla\" işarələri gəldi, lakin real müştərilərdən sifariş gəlmədi, - o deyir. - O iş tamamilə cəhənnəmə getdi. Mən həmin layihəyə var gücümü sərf etmişdim, gecə-gündüz onun üzərində işləmişdim, sonra onu təqdim etdim və nəticəsi də milçək vızıltısı oldu. Bu, məyusedici idi, nəfəskəsici idi\". 2015-ci ildə Mathias biznesini yenidən Oslo şəhərinə köçürdü Mathias deyir ki, pulu bitmək üzrə olanda, o, anladı ki, yalnız sonuncu bir şansı qalıb - Timely tətbiqi layihəsində mütləq uğur qazanmaq. Odur ki, o, böyük riskə getmək qərarına gəldi - Oslodakı mənzilini satdı və pul yığaraq Silikon Vadisinə yollandı. Haker evindəki keçirdiyi dövrdən və Hindistanda bir proqramçı ilə işlədikdən sonra Mathias 2014-cü ilin sonunda Timely tətbiqinin ikinci iterasiyasını təqdim etdi. Bir il sonra Mathias, Memory adlandırdığı biznesini yenidən Osloya qaytarmaq qərarına gəldi. \"Mən şəhəri tərk etdiyim zaman orada heç bir texnoloji startup platforması yox idi, sonradan isə onlar sürətlə yaranmağa başladı. Oslo indi texnologiya sahəsi üzrə peşəkar işçi tapmaq üçün əla yerdi\". ABŞ, İngiltərə və Norveçdəki investisiya firmalarından $6 milyon dollar investisiya almış Memory şirkətində indi 45 işçi işləyir, şirkətin illik satdığı məhsulunun dəyəri isə $2 milyondan çoxdur. Mathias öz biznesini $6 milyon dollarlıq xarici sərmayə ilə təmin edib Mathias kimi sahibkarlar \"orta statistik insanlardan fərqli olaraq müəyyən anadangəlmə xüsusiyyətlərə malikdirlər, - Cardiff Metropolitan Universitetinin sahibkarlıq üzrə professoru Brian Morgan deyir. - Bu, o deməkdir ki, onlar risk altına girməyə və açılan fürsətdən istifadə etməyə daha meyillidirlər\". \"Məhsulun inkişafının ilk illərində davamlılıq məsələsi həmişə mühüm olur - bu, gələcək ürəkaçan görünməyəndə işi davam etdirmək bacarığı və həmçinin özünəgüvən xüsusiyyətini - yəni problemi həll etmək üçün yeni yollar tapa bilmək qabiliyyətini və yalnız özünə arxalanmaq üçün kifayət qədər inamlı olmağı nəzərdə tutur\". \"Silikon Vadisində yeni startup biznesinə başlamaq üçün dolab kirayələmək də uğurlu bir sahibkar olmaq üçün lazım olan əzmkarlıq və ehtirasın mükəmməl bir nümunəsi kimi mənə görünür\". Üç ay ərzində dolabda yaşadığı dövrü yada salan Mathias deyir ki, \"bu, bir fanatizm dövrü idi, amma eyni zamanda çox əla bir dövr idi\". Və o, əlavə edir: \"Mən hər gün, hər dəqiqə işləyirdim, odur ki, açığı, harada yatdığıma heç əhəmiyyət də vermirdim\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48030930", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-48030353", "doc1": "মস্তিস্কে গুরুতর আঘাত পেলেই মানুষ এরকম দীর্ঘসময়ের জন্য সংজ্ঞাহীন অবস্থায় চলে যায় ২৭ বছর আগে মুনিরা আবদুল্লা যখন দুর্ঘটনার শিকার হন, তখন তার বয়স ছিল ৩২ বছর। তিনি মস্তিস্কে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন। গাড়িতে করে তিনি স্কুল থেকে তার বাচ্চাকে তুলতে যাচ্ছিলেন। পথে এক বাসের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। সেই একই গাড়িতে ছিলেন তার চার বছর বয়সী ছেলে ওমর ওবেয়ার। তবে মায়ের কোলে থাকায় তিনি রক্ষা পান। গুরুতর কোন আঘাত পাননি। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সংবাদপত্র দ্য ন্যাশনালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওমর জানিয়েছেন তার মার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। \"আমি কখনো তার ব্যাপারে আশা ছেড়ে দেইনি। কারণ আমার সবসময় মনে হতো একদিন তিনি জেগে উঠবেন।\" \"আমি এঘটনার কথা সবাইকে জানাচ্ছি যাতে করে কেউ তাদের প্রিয়জনের ব্যাপারে আশা ছেড়ে না দেন। এরকম অবস্থায় কেউ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেবেন না,\" বলছেন তিনি। মিজ মুনিরা আবদুল্লাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। পরে তাকে লণ্ডনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার অবস্থাকে ডাক্তাররা \"ভেজিটেটিভ' বলে বর্ণনা করেন। এরপর তাকে আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরিয়ে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রাখা হয়। একটি টিউবের মাধ্যমে খাবার খাইয়ে তাকে জীবিত রাখা হচ্ছিল। ঐ অবস্থাতেই তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছিল যাতে করে শরীরের মাংসপেশীগুলো ভালো থাকে। ২০১৭ সালে এক সরকারি অনুদানের অর্থে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সাবেক ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুম্যাখার: স্কি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর কোমায় আছে বহুদিন ধরে সেখানে তার ওপর কিছু অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছু ঔষধও প্রয়োগ করা হয় যাতে করে কোমা থেকে তাকে জাগিয়ে তোলা যায়। একদিন তার ছেলে ওমরের সঙ্গে হাসপাতালে কারও তর্ক হচ্ছিল। তখন সেই শব্দে হঠাৎ তার মা জেগে উঠেন। ওমর জানান, \"হাসপাতালের ঐ রুমে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আমার মা বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন আমি বিপদে আছি। সেটি তাকে যেন একটি ধাক্কা দিয়েছিল।\" \"তিনি অদ্ভুত শব্দ করছিলেন। আমি ডাক্তারদের ডাকছিলাম তাকে পরীক্ষা করার জন্য। তারা বলছিলেন সব স্বাভাবিক আছে।\" \"এর তিনদিন পর আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি কারও ডাকে, কেউ আমার নাম ধরে ডাকছিল।\" \"আমার মা আমাকে ডাকছিল, আমি আনন্দে যেন উড়ছিলাম। আমি এই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখেছি অনেক। এখন আমার নাম ধরেই তিনি প্রথম ডাকলেন।\" মুনিরা আবদুল্লা এখন আরও অনেক বেশি সাড়া দিচ্ছেন। তাকে আবুধাবীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। জ্ঞান হারানোর বহু বছর পর এরকম চেতনা ফিরে পাওয়ার ঘটনা আরও ঘটেছে। তবে এরকম অবস্থায় থাকা কেউ কখন তার সংজ্ঞা ফিরে পাবেন, সেটা অনুমান করা কঠিন। টেরি ওয়ালিস নামে এক মার্কিন নাগরিক ১৯ বছর পর তার সংজ্ঞা ফিরে পেয়েছিলেন। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন এই ১৯ বছর।", "doc2": "Huşun pozulması ilə bağlı hallar adətən qəfil beyin travmasından sonra əmələ gəlir Qəza Münirə Abdullahın oğlu Ömər Vəbəyri məktəbdən götürərkən baş verib. Onların hərəkət etdiyi avtomobil məktəb avtobusu ilə toqquşub. O vaxt 32 yaşı olan Münirə kəskin kəllə-beyin travması alıb. İnsidentdən bir an əvvəl öz kürəkənin sürdüyü maşında oturan Münirə oğlunun üstünə atılaraq onu xilas edə bilib. Nəticədə uşaq hadisədən salamat çıxıb. Münirə Abdullah isə ciddi xəsarət alıb. O, ötən il Almaniya xəstəxanasında özünə gəlib. İllərdir ki, davam edən müalicədən sonra, Ömər anasının səhhətində irəliləyiş və qəza barədə BƏƏ-də nəşr olunan The National qəzetinə verdiyi müsahibədə danışıb. \"Ö məni qorumaq üçün qucaqladı\" \"Mən ondan əlimi heç vaxt üzmədim, çünki onun bir gün ayılacağına daima inanırdım\", - Ömər bazar ertəsi qəzetə verdiyi müsahibəsində deyib. \"Anamın hekayəsiylə ona görə bölüşürəm ki, başqa insanlar da yaxınlarına olan ümidlərini itirməsinlər; belə bir vəziyyətdə sağ qalanları artıq ölü hesab etməsinlər. Anam mənimlə birlikdə maşının arxasında otururdu. O, toqquşmanın baş verəcəyini anlayan anda məni zərbədən qorumaq üçün qıcaqladı\". Qəzadan sağ-salamat çıxan Ömər baş nahiyəsindəki göyərtidən savayı heç bir xəsarət almamışdır. Lakin qəzadan sonra onun anasına saatlarla tibbi yardım göstərilməmişdir. İllərlə davam edən müalicə Bir müddətdən sonra Münirə Abdullah da hospitala çatdırıldı. Daha sonra onu Londona apardılar. Hospital həkimləri onun vegetativ komada olduğunu bildirdilər, yəni Münirə reaksiya vermirdi amma ağrıya həssaslığını itirməmişdir, - The National nəşri xəbər verir. Londondan sonra xəstəni yenidən BƏƏ-yə qaytardılar. Tibbi sığortanın tələblərinə uyğun olaraq Münirə əvvəl yaşadığı Omanla həmsərhəd Əl-Əyn şəhərində müalicə olunmağa başladı. Michael Schumacher 2013-cü ildə Fransada aldığı kəllə-beyin travmasından sonra 6 ay süni komada saxlanıldı Xəstəni həyatda saxlamaq üçün ona qidanı boru vasitəsilə verirdilər. Həmçinin, hərəkətsizliyə görə əzələ kütləsinin funksiyasını saxlamaq məqsədilə Münirəyə fizioterapiya da keçirilirdi. 2017-c ildə Əbu-Dabinin rəsmi dövlət qurumu olan Vəliəhd Şahzadə Sarayı Almaniyaya yollanmaq istəyən xəstənin ailəsinə maliyyə dəstəyini təklif etdi. Almaniya həkimləri tərəfindən keçirilən bir sıra cərrahiyə müdaxiləsi nəticəsində xəstənin qısalmış əl və ayaq əzələləri üzərində əməliyyatlar aparıldı. Ona həmçinin ümumi vəziyyəti yaxşılaşdıran dərmanlar da təyin edildi. Xəstəxanada mübahisə Almaniyada daha bir il davam edən müalicə gedişatında Ömərin iştirakı ilə palatada mübahisə baş verdi və belə görünür ki, bu, anasının tərpənməsinə səbəb oldu. \"Palatada anlaşılmazlıq var idi .O, mənə təhlükə yarandığını hiss etdi və bu onun şokuna səbəb oldu\", - Ömər yadına salır. \"O qəribə səslər çıxarırdı və mən həkimləri müayinə keçirməyə səslədim. Onlar hər şeyin qaydasında olduğunu deyirdilər. Uzun müddətli komadan sonra ayılma hallarının sayı cüzidir Daha üç gün keçdi və gecə ayıldım ki, kimsə mənim adımı çəkir. O idi! O mənim adımı çəkirdi. Mən sevincimdən yerə-göyə sığmırdım; illərdir ki, bu anın gəlməsini arzulayırdım. Mənim adım onun dilə gətirdiyi ilk söz idi\", - Ömər Vəbəyri müsahibəsində belə deyir. \"O daha çox reaksiya verir, ağrı hiss edirdi. Bir də ki, azacıq söhbətləşməyə başladı.\" Münirə yenidən Əbu-Dabiyə qayıdır. Ona fizioterapiya və bərpa terapiyası təyin olunur. Müalicənin məqsədi əzələ sıxılmasının qarşısını almaq və oturmaq tərzini yaxşılaşdırmaqdır. Nadir ayılma halları Bir neçə il komada qalandan sonra ayılan insanların sayı çox deyil və hətta bundan sonra da onların sağalmasına uzun vaxt tələb oluna bilər. Britaniya Səhiyyə Nazirliyinə əsasən, huşun pozulmasından əziyyət çəkənlərin yaxşılaşmaq şanslarını müəyyənləşdirmək qeyri-mümkündür. Huşu yerinə qayıdan şəxslərdə beyin zədələnməsinə görə bəzi funksiyalar pozula və fiziki məhdudiyyətlər əmələ gələ bilər. 19 yaşında ikən düşdüyü yol-nəqliyyat qəzasından sonra 19 il vegetativ komada qalan ABŞ sakini Terry Wallis-in dramatik sağalma misalı diqqətə layiq sayıla bilər. Hesab olunur ki, onun beyin toxuması yenidən bərpa olunmuşdur. 2013-cü ildə Formula 1 üzrə sabiq dünya çempionu Michael Schumacher Fransada dağ xizəkçiliyi ilə məşğul olarkən kəllə-beyin travması alıb. O, müalicəsini İsveçrədə davam etdirməkdən əvvəl 6 ay ərzində süni komada saxlanılıb. Həmçinin oxuyun:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48009028", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/region-48005615", "doc1": "প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং তার সমর্থকরা এক্সিট পোলে মি. জেলেনেস্কি ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। এর তিন সপ্তাহ আগে প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটিতে যেখানে ৩৯জন প্রার্থী ছিল, সেখানেও মি. জেলেনস্কি বেশ এগিয়ে ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো তার পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তবে, রাজধানী কিয়েভে জড়ো হওয়া তার ভক্ত-সমর্থকদেরকে জানিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন না। যদি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ফেরত মানুষদের এই জরিপ সত্যি হয় তাহলে মি. জেলেনেস্কি ৫ বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেদেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতির মতো সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতার অধিকারী। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশার বলছিলেন, ইউক্রেনের মানুষদের সামনে একদিকে ছিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আর অন্যদিকে ছিল রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা একজন কমেডিয়ান। কিন্তু এতো বিপুল মানুষ অনভিজ্ঞ জেলেনেস্কি বেছে নেওয়াটাকে পোরোশেঙ্কোর জন্য একটা অপমানকর ব্যাপার বলেই ব্যাখ্যা করেন জোনাহ ফিশার। মি. পোরোশেঙ্কো ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ। একটি রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রুশ-সমর্থক প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মি. পোরোশেঙ্কো। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংকট কতটা মারাত্মক? পরাজয় মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো কে এই ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ? ৪১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছিলেন 'সার্ভেন্ট অফ দি পিপল' বা 'জনতার খেদমতকারী' নামের একটি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেই নাটকে মি. জেলেনস্কি একজন শিক্ষক হিসাবে অভিনয় করেছিলেন, ঘটনাচক্রে যিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার সেই নাটকে রাজনৈতিক দলের যে নাম ছিল, সেই নামেই পরে তিনি দল গঠন করেন। পূর্বের রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও, কোন রাজনৈতিক নীতির কথা ঘোষণা না করে বরং মি. জেলেনস্কি অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। প্রথম পর্বে তিনি মি. পোরোশেঙ্কোর প্রায় দ্বিগুণ, ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মি. জেলেনস্কির অনানুষ্ঠানিক ভঙ্গি আর ইউক্রেনের রাজনীতিকে পরিষ্কার করার অঙ্গীকারের কারণে ভোটাররা তাকে বেছে নিয়েছে, যারা মি. পোরেশেঙ্কোর দেশ পরিচালনায় সন্তুষ্ট নন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা: সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে কোন কোন পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়? 'চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনার নানা খবর তদন্তে প্রভাব ফেলে' বাংলাদেশ থেকেই বেশি পর্যটক যায় ভারতে", "doc2": "Volodymyr Zelensky qeyri-rəsmi nəticələrə görə, ölkənin yeni prezidenti seçilib. Bazar günü keçirilən prezident seçkilərinin ikinci turunda seçkidən sonra aparılan sorğulara görə, səslərin 73,3 faizini Zelensky, 24,3 faizini isə Petro Poroşenko qazanıb. Beləliklə, 5 ildir ölkəyə rəhbərlik edən Petro Poroşenko vəzifəsini itirib. Əhalinin 62 faizinin qatıldığı seçkilərin martın 31-də keçirilmiş ilk turunda Zelensky 30,24 faiz, Poroşenko isə 15,95 faiz səs toplayaraq ikinci tura qalıblar. Keçmiş Baş nazir Yuliya Timoşenko isə üçüncü olub. \"Heç kimə xəyal qırıqlığı yaşatmayacam\" Seçki sonrası keçirilən sorğuların nəticələri açıqlandıqdan sonra böyük sevinc yaşayan 41 yaşlı Zelensky \"məni dəstəkləyən və ya dəstəkləməyən bütün ukraynalılara təşəkkür edirəm. Heç kimə xəyal qırıqlığı yaşatmayacam\" deyib. Məğlubiyyətini qəbul etmiş Poroşenko isə \"Ukrayna xalqı belə qərar verdi. Rəqibimi təbrik edirəm. Ukraynanı qorumaq üçün hamımız birləşməliyik. Vəzifədən gedirəm, lakin siyasətdən yox\" söyləyib. Zelensky-nin uğurunun arxasında nə dayanır? Prezidentliyə namizədliyini bəyan etdiyi vaxt ölkə əhalisi tərəfindən ciddiyə alınmayan komediya ustası Zelensky seçkidə sürpriz bir yüksəlişlə rəqibləri ilə arasındakı fərqi artırıb. Ona səs vermiş seçicilərin çoxu siyasətdə \"yeni üz\" axtarışında olan şəxslər və gənclərdən ibarətdir. Bugünə qədər korrupsiyaya bulaşmaması, adı məşhur oliqarx İgor Kolomoysky ilə yanaşı çəkilsə də ortada onların qarışıq münasibətlər içində olmasına dair bir faktın olmaması, Ukraynada keçirilən bu seçkilərdə xalqın Zelensky-ni \"yeni ümid\" kimi görməsində önəmli rol oynayıb. Seçki kampaniyası müddətində çox gözə görünməyən Zelensky-nin \"sıradan, xalqdan biri\" olduğunu vurğulaması şablon vədlərdən sıxılmış seçicilər üzərində öz təsirini göstərib. Ukraynada bazar günü prezident seçkilərinin ikinci turu keçirilib. Seçicilər prezidentliyə əsas namizədlərdən biri, ölkənin 5 il prezidenti olmuş milyarder Petro Poroşenko ilə televiziya komediya ustası Volodymyr Zelensky arasında seçim etməlidirlər. Rəy sorğuları Zelensky-nin seçkiqabağı reytinqinin daha yüksək olduğunu göstərib. Poroşenko seçkilərin necə təşkil edilməsindən fəxr duyduğunu bildirib. Petro Poroşenko seçkidən əvvəl jurnalistlərə demişdi ki, kimin qalib gələcəyi vacib deyil: \"Əsas olan Ukraynanın hansı strategiyanı, hansı yolu seçəcəyidir\". Zelensky isə bildirmişdi ki, seçkidə Ukrayna və ədalətli seçim zəfər çalmalıdır. Bazar günü keçirilən seçkinin ikinci raundunda səs çoxluğu qazanan namizəd növbəti 5 il müddtinə Ukrayna prezidenti vəzifəsini tutacaq. Zelensky kimdir? 41 yaşlı Zelensky \"Xalqın qulluqçusu\" adlı satirik siyasi televiziya serialında baş rol oynamaqla ölkədə tanınıb. Bu serialda o, gözlənilmədən Ukrayna prezidenti vəzifəsinədək yüksələn müəllim rolunu oynayır. Zelensky-nin indiki seçkilərdə namizədliyi eyniadlı siyasi partiya tərəfindən irəli sürülüb. Apardığı seçkiqabağı kampaniyanın gedişində Zelensky özünün digər siyasətçilərdən fərqli olmasını xüsusilə qabardıb və bu cəhəti üstünlük kimi qələmə verib. Müddəti bitməkdə olan hazırkı prezident Petro Poroşenko isə 2014-cü ildən hakimiyətdədir. O, prezident seçkilərinin birinci turunun nəticələrini \"ağır dərs\" kimi qiymətləndirib. Prezident seçkilərinin birinci turunda Poroşenkonun yığdığı səslər Zelensky-nin topladığı səslərdən az qala iki dəfə az olub. 53 yaşlı Poroşenko milyarderdir - o, öz sərvətini şirniyyat istehsalı və televiziya biznesi sayəsində toplayıb. Petro Poroşenko və Volodymyr Zelensky Naməlumluğa doğru? Jonah Fisher, BBC News, Kiyev Ukraynalılar beş il prezidentlik etmiş Petro Poroşenko ilə onları naməlumluğa aparacaq komediya ustası, namizəd Volodymyr Zelensky arasında seçim etməlidirlər. Volodymyr Zelensky komediya ustası kimi yaxşı tanınmasına baxmayaraq, bu prezident kampaniyası gedişində onun bir siyasətçi kimi keyfiyyətləri haqqında aydın təsəvvür formalaşmayıb. Lakin o göstərib ki, hər halda televiziya serialında prezident rolunu oynamağa qadirdir. Kiyev ölkənin şərqindəki Rusiyanın dəstəklədiyi qüvvələrlə müharibə vəziyyətindədir. Prezident Poroşenko dəfələrdə vurğulayıb ki, Ukraynanın siyasi təcrübəsi olanlara ehtiyacı var. Lakin Poroşenko üçün təəssüfedici nəticələr vermiş bütün rəy sorğuları göstərib ki, ukraynalılar korrupsiyalaşmış siyasətçilərdən və varlı oliqarxların əlində oyunacağa çevrilən siyasətçilərdən artıq cana doyub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51688298", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51702039", "doc1": "বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকার কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অর্থাৎ এই হার এক শতাংশের সমান। যদিও মৃত্যুর বিষয়টি আরো অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে, যেমন বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং আপনি যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রয়েছেন তার অবস্থা কেমন সেটিও দেখার বিষয়। মৃত্যুহার বের করা কতটা কঠিন? মৃত্যুহার বের করাটা বেশ কঠিন। এমনকি কতজন মারা গেলো তা গণনা করাটাও জটিল। বেশিরভাগ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবের বাইরে থেকে যায় কারণ মৃদু উপসর্গ থাকলে কেউই চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। ভাইরাসের ভিন্নতার জন্য বিশ্ব জুড়ে যে মৃত্যু হার জানা যাচ্ছে তাও যথোপযুক্ত নয়। ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণা বলছে, মৃদু সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে কিছু দেশ পারদর্শী হলেও অনেক দেশে আবার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। যার কারণে আক্রান্তের হিসাব রাখাটা কঠিন। তাই সব আক্রান্তের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা না হলে মৃত্যুহার অনেক বেশি বলে মনে হতে পারে, আবার বিপরীত হলে এর উল্টো চিত্রও হতে পারে। সংক্রমণ ভাল হয়ে যাবে নাকি সেটি মৃত্যু ডেকে আনবে তা বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। আর এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই যদি সব সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা হয়, তাহলে মৃত্যুহার কম বলে মনে হবে, কারণ যারা শেষমেশ সংক্রমণে ভুগে মারা যাবে তাদের সংখ্যাটা সেসময় পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরা এ ধরণের প্রতিটি ঘটনা একত্রিত করে মৃত্যুহার নিয়ে একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরির চেষ্টা করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিজ্ঞানীরা ছোট পরিসরে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মধ্যে মৃদু উপসর্গের হার অনুমান করেন। পরে ওই সব ঘটনা থেকে ছোট ছোট পরিবর্তনও বড় পরিসরে বড় পরিবর্তনের সাথে যুক্ত করা হয়। যেমন, যদি শুধু হুবেই থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয় যেখানে অন্য জায়গার তুলনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি, তাহলে সর্বমোট মৃত্যুহার আরো অনেক বেশি হবে। তাই বিজ্ঞানীরা মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে একটি ধারা বা পরিসীমা ব্যবহার করেন এবং সেই সাথে সর্বশেষ সম্ভাব্য ধারণাটিও জানিয়ে দেন। কিন্তু এটিও আসলে পুরো ঘটনার পূর্ণ চিত্র দেয় না কারণ এর কোন একক মৃত্যুহার নেই। সাধারণ মানুষের ঝুঁকি কতটা? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিছু মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়: যেমন যারা বয়স্ক, অসুস্থ আর পুরুষ। চীনে সংক্রমণের শিকার ৪৪ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম বড় আকারে যে বিশ্লেষণটি পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় যে, মধ্য বয়সীদের তুলনায় বয়ো-বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ গুণ বেশি। ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম- সাড়ে চার হাজার জন আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৮ জন মারা গিয়েছিল। আর যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুহার ৫ গুণ বেশি। জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরীতে ৬২১ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহারও কিছুটা বেশি। এই সবগুলো কারণই একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই বিভিন্ন এলাকায় থাকা মানুষের জন্য ঝুঁকির হার কতটা রয়েছে তার কোন সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। যেখানে বাস করছি সেখানে ঝুঁকি কতটা? চীনে বসবাস করা ৮০ বছর বয়সী একদল মানুষের মধ্যে যে ঝুঁকি রয়েছে তা ইউরোপ কিংবা আফ্রিকায় থাকা একই বয়সী একদল মানুষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এছাড়া কী ধরণের চিকিৎসা সেবা আপনি পাচ্ছেন সেটার উপরও আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নির্ভর করে। একই সাথে এটা নির্ভর করে প্রাদুর্ভাবটি কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং কী ধরণের সুযোগ রয়েছে তার উপর। যদি প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর বাড়বে এবং যেকোন নির্দিষ্ট এলাকায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ভেন্টিলেটর ব্যবস্থাও নির্দিষ্ট থাকে। ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের একটি বিশেষ সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটি কি ফ্লু এর চেয়ে বেশি বিপদজনক? আমরা মৃত্যুহার তুলনা করতে পারি না, কারণ অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ফ্লু-এ আক্রান্তর হওয়ার মৃদু উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান না। কাজেই আমরা জানি না যে, প্রতিবছর ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা কত হচ্ছে আর অন্য কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কত হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এখনো বিশেষ করে শীতকালে ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়। তাই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা একটা পূর্ণ চিত্র দিতে পারবেন যে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মৌলিক যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তা হলো, হাত ধুয়ে, কাশি বা সর্দিতে ভুগছেন এমন মানুষ থেকে দূরে থেকে এবং চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ তৈরি করে এমন সব ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।", "doc2": "Dünyada 90 minə yaxın koronavirusa yoluxma halı təsdiq olunub. Bazar günü Böyük Britaniyanın səhiyyə katibi Matt Hancock hökumətin \"ən yaxşı dəyərləndirməsinin\" ölüm nisbətinin 2 faiz və ya daha az olduğunu deyib. Lakin bu, bir sıra amillərdən asılıdır: sizin yaşınız, cinsiniz və ümumi sağlamlığınız və aid olduğunuz səhiyyə sistemi. Ölüm nisbətini tapmaq nə dərəcədə çətindir? Bu, fəlsəfə doktorluğu qədər çətindir. Hətta yoluxma hallarının sayılması belə çətin məsələdir. Bir çox viruslara yoluxma hallarının əsas hissəsi hesablanmalarda yer almayacaq, çünki insanlar yüngül əlamətlərlə həkimə müraciət etmirlər. Dünyada bildirdiyimiz fərqli ölüm nisbətlərinin, virusun fərqli versiyalarına görə olma ehtimalı azdır. Dünyada bildirililən fərqli ölüm nisbətlərinin virusun fərqli versiyalarına görə olma ehtimalı azdır. Londondakı İmperial Kollecin araşdırmalarına görə, bəzi ölkələrin yüngül əlamətləri müəyyən etmədə daha yaxşı, bəzilərinin isə daha pis olmasına görə, yoluxma hallarını hesablamaq çətindir. Beləliklə, bildirilməmiş yoluxma halları ölüm səviyyəsini həddən artıq yüksək qiymətləndirilməsini asanlaşdırır. Ancaq başqa bir istiqamətdə səhv edə bilərsiniz. Bir infeksiyanın sağalma və ya ölümlə nəticələnməsinə vaxt lazımdır. Alimlər bu sualların hər biri ilə bağlı fərdi sübutlar toplamaqla ölüm nisbəti haqqında təsəvvür irəli sürürlər. Mənim kimilər üçün risk nədən ibarətdir? Bəzi insanların koronavirusa yoluxma hallarında ölüm nisbəti daha yüksəkdir: yaxşı insanlar, xəstələr və ola bilər ki, kişilər. Çində araşdırılan 44 mindən çox yoluxma halında çox yaşlı insanlarda ölüm nisbəti orta yaşlılara nisbətən 10 dəfə yüksək idi. Ən yüksək ölüm nisbəti 80 yaşdan yuxarı insanlara təsadüf edib. 30 yaşından aşağı insanlar üçün ölüm nisbəti daha aşağı idi - 4500 yoluxma halından cəmi 8-i. Diabet, yüksək qan təzyiqi, ürək və ya nəfəs problemləri olanlar arasında ölüm riski azı 5 dəfə yüksək idi. Kişilərin ölüm nisbəti qadınlarla müqayisədə azca yüksək idi. Yaşadığım yerdə risk nədən ibarətdir? Çində yaşayan bir qrup 80 yaşlı kişinin Avropada və ya Afrikada yaşayan eyni yaşda kişilərlə müqayisədə fərqli riskləri ola bilər. Sizin proqnozlarınız həm də aldığınız müalicədən asılıdır. Öz növbəsində, bu, əlçatımlıqdan və epidemiyanın mərhələsindən asılıdır. Dünyada koronavirusdan ölüm halları 3000-i keçib. Bu ölümlərin 90 faizindən çoxu virusun yayıldığı Hubei bölgəsində baş verib. Lakin bundan başqa, İranda 50-dən çox, İtaliyada 30-dan çox olmaqla 10 fərqli ölkədə də ölüm halları qeydə alınıb. Dünyada 90 minə yaxın koronavirusa yoluxma halı təsdiq olunub. Bundan əvvəl Azərbaycanda 224 nəfərin koronavirus şübhəsilə həkim nəzarəti altında olduğu deyilir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52062915", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52182590", "doc1": "সেক্ষেত্রে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে আপনি কী ভূমিকা রাখতে পারেন? ১. থামুন এবং চিন্তা করুন আপনি আপনার পরিবার ও বন্ধুদের ভাল চান এবং তাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখতে চান। তাই নতুন কোনো তথ্য যখন আপনি পান - সেটা ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা টুইটার যেখানেই হোক না কেন - আপনি তাদের কাছে সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে চান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে আপনি সর্বপ্রথম যা করতে পারেন, তাহলো এমন কাজ থেকে বিরতি নিন এবং চিন্তা করুন। আপনার যদি কোনো সন্দেহ হয়, তাহলে ওই বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। ২. তথ্যের উৎস যাচাই করুন কোনো পোস্ট আরেকজনের কাছে পাঠানোর আগে তথ্যগুলোর উৎস যাচাই করার চেষ্টা করুন। উৎস যদি হয়ে থাকে 'এক বন্ধু', 'বন্ধুর আত্মীয়', 'আত্মীয়ের সহকর্মী' অথবা 'সহকর্মীর আত্মীয়'-র মত কেউ, তাহলে অবশ্যই সেই তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। সম্প্রতি 'মাস্টার্স ডিগ্রিধারী আঙ্কেল'-এর সূত্র দিয়ে প্রকাশিত হওয়া এ রকম একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত পোস্টের উৎস খুঁজে বের করেছে বিবিসি। ঐ পোস্টটির কয়েকটি তথ্য - যেমন ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে হাত ধোয়ার উপদেশ - সঠিক থাকলেও অধিকাংশ উপদেশই ছিল ক্ষতিকর। যেমন সেখানে রোগ নিরাময়ের অযাচাইকৃত এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন কিছু পরামর্শ ছিল। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক তথ্য যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্টের ডেপুটি এডিটর ক্লেয়ার মিলন বলেন, \"স্বাস্থ্য বিষয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরামর্শ দিতে পারে গণস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো - যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম (এনএইচএস) বা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।\" এমন নয় যে বিশেষজ্ঞরা সবসময় শতভাগ সঠিক তথ্য দিতে পারেন, তবে তারা নিঃসন্দেহে কারো আত্মীয় বা হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে নির্ভরযোগ্য। ৩. তথ্যটি কি ভুল হতে পারে? বাইরে থেকে দেখে বিভ্রান্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের কারো আনুষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট বা যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে পোস্ট দেয়া খুবই সম্ভব। সেই সব পোস্ট দেখে মনে হতে পারে যে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেই এসেছে তথ্যগুলো। স্ক্রিনশট পরিবর্তন করে এমনভাবে তা প্রকাশ করা যায় যা দেখে মনে হয় যে তথ্য বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই এসেছে। এ রকম ক্ষেত্রে পরিচিত এবং ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখুন। সেসব জায়গায় যদি সহজে তথ্যগুলো খুঁজে না পান, তাহলে সম্ভবত এগুলো ভুল। আর পোস্ট, ভিডিও বা লিঙ্ক দেখেই যদি আপনার ভরসা না হয়, তাহলে হয়তো ভরসা না করাই উচিত। ৪. সত্যতা নিয়ে অনিশ্চিত? - শেয়ার করবেন না কোনো তথ্য 'ঠিক-হতেও-তো-পারে' মনে করে সেগুলো আরেকজনকে পাঠাবেন না। এ রকম ক্ষেত্রে আপনি কারো ভালো করার মানসিকতা নিয়ে তথ্য দিয়ে হয়তো তাকে ক্ষতির সম্মুখীন করবেন। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? ৫. প্রতিটি তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করুন হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস বেশ ছড়িয়েছে। ওই ক্লিপে যে নারী কথা বলেন, তিনি সেখানে বলেন যে তার 'সহকর্মীর একজন বন্ধু, যিনি হাসপাতালে কাজ করেন' তার কাছ থেকে তথ্যগুলো জেনে অনুবাদ করেছেন তিনি। ওই ভয়েস ক্লিপটি সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিবিসি'র কাছে পাঠিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ভয়েস ক্লিপটির তথ্যগুলো ছিল ভুল এবং সঠিকের সংমিশ্রণে তৈরি করা। যখন অনেকগুলো উপদেশের তালিকা আপনাকে পাঠানো হবে, তখন অনেক সময় আপনি সবগুলো তথ্যই বিশ্বাস করতে চাইবেন। কারণ তালিকায় থাকা কয়েকটি তথ্য যে সঠিক, সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত। কিন্তু অনেক সময়ই কয়েকটি সঠিক তথ্যের সাথে ভুল তথ্য যোগ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ৬. আবেগী পোস্ট থেকে সাবধান যেসব পোস্ট আমাদের আতঙ্কিত, চিন্তিত অথবা উৎফুল্ল করে তোলে, সে রকম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। অনলাইনে ভুল তথ্য আলাদা করতে সাংবাদিকদের সাহায্য করা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ড্রাফটের ক্লেয়ার ওয়ার্ডল বলেন, \"বিভ্রান্তিকর তথ্যকে টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় ভিত্তি মানুষের মধ্যকার ভয়।\" তিনি বলেন, \"নিজেদের কাছের মানুষকে সব সময় সাহায্য করতে চায় মানুষ, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। তাই 'ভাইরাস প্রতিরোধ করার টিপস' বা 'এই ওষুধগুলো খান' জাতীয় পোস্ট সহজে ভাইরাল হয়। কারণ মানুষ যেভাবে পারে কাছের মানুষকে সাহায্য করতে চায়।\" কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? ৭. একপেশে চিন্তা সম্পর্কে সাবধানে থাকুন আপনি যখন একটি পোস্ট শেয়ার করেন, তখন আপনার সেটি শেয়ার করার পেছনে যুক্তিটি কী থাকে? পোস্টের তথ্যগুলোর সত্যতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত বলে শেয়ার করছেন, নাকি আপনি শুধুমাত্র তথ্যগুলোকে সমর্থন করছেন? ডেমোসের সেন্টার ফর দ্য অ্যানালিসিস অব সোশ্যাল মিডিয়ার গবেষণা পরিচালক কার্ল মিলার মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন যেসব পোস্টে আসে, সেসব পোস্টই আমরা সাধারণত শেয়ার করে থাকি। তিনি বলেন, \"যখন কিছু দেখে আমরা ক্রুদ্ধ হয়ে মাথা ঝাঁকাই, সেই সময়ে আমাদের ভুল তথ্য শেয়ার করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।\" \"ঐ সময়টাতে আমাদের অনলাইন কার্যক্রম ধীরগতিতে চালানো জরুরি।\"", "doc2": "1. Əl saxlayın və düşünün Əlbəttə, siz doğmalarınızın və yaxınlarınızın epidemiya haqqında son məlumatlardan xəbərdar olmasını istəyirsiniz. Ona görə də elektron poçtunuza gələn, \"Whatsapp\"-da, \"Facebook\"-da və \"Twitter\"-də rastınıza çıxan yeni xəbərləri onlara göndərməyə tələsirsiniz. Ancaq ekspertlərin fikrincə, dezinformasiyaya qarşı mübarizədə görə biləcəyiniz ilk iş belə məqamlarda əl saxlamaq və düşünməkdir. Sosial şəbəkələrdə və mesencerlərdə paylaşılan koronavirus xəbərləri çox vaxt panika doğurur. Məsələn, martın ortalarında Çeçenistanda və Dağıstandakı \"WhatsApp\" qruplarına göndərilən səs yazısında bir kişi hamıya ehtiyat ərzaq almağı məsləhət görmüşdü. Danışan şəxsin daxili işlər nazirinin müavini olduğu bilinmiş və insanlar bazarlara axışmışdılar. \"WhatsApp\" vasitəsilə informasiya hücumları bütün dünyada mövcuddur. Avstriyada yayılan səs yazısında özünü Poldi adlı qızcığazın anası Polin kimi təqdim edən bir qadın həyəcanlı səslə xəstəxanada olduğunu, vəziyyəti ağır olan hər kəsindaha əvvəl ibuprofen qəbul etdiyini demişdi. Bu, feyk xəbəriydi: həkimlər həmin dərmanın koronavirusu aktivləşdirməsiylə bağlı heç bir açıqlama verməmişdilər, amma insanlar xəbəri paylaşmaqda davam edərək öz yaxınlarına yanlış məlumat ötürmüşdülər. Sizə gələn mesajları paylaşmazdan əvvəl onun feyk olma ehtimalını götür-qoy edin; şübhə doğuran məqamlar varsa, göndərməyin. 2. Mənbə axtarın Mesajı tirajlamazdan əvvəl özünüzə sual verin - bu xəbər hardandır? Yuxarıdakı nümunələrin hər ikisində mənbə aydın deyildi və bu, feyk xəbərlər üçün xarakterik haldır. İnternetin qərb seqmentində belə məlumatlar, adətən, \"dostumun rəfiqəsindən\" və ya \"iş yoldaşımın qonşusundan\" qaynaqlanır. Bu, demək olar ki, bütün hallarda, məlumatın uydurma olmasından xəbər verir. Martın əvvəllərində \"Facebook\"-da \"magistr dərəcəli əmimin məsləhətləri\" populyarlaşdı. \"Snopes\" saytının yazdığına görə, bu status ilk dəfə 84 yaşlı ingiltərlinin səhifəsində peyda olubmuş. Sonra onu Qanadan olan teleaparıcı öz \"İnstagram\" səhifəsində paylaşıb, ordansa həmin status Hindistanın katolik qruplarına, ardınca da \"WhatsApp\" və \"Twitter\"-ə \"köçüb\". \"Getdiyi\" yerlər dəyişdikcə, statusun məzmunu da dəyişib. Bəzi ağıllı məsləhətlər (məsələn, əlləri yumaq) bütün versiyalarda qorunub saxlanıb, Ancaq xəstəliyin diaqnozuyla bağlı çoxsaylı yanlış məlumatlar əlavə edilib. Ötən bazar günü eyni şey ABŞ-da dabaş verib: amerikalılara \"dostumun FTB-də işləyən dostu\"na\",və hətta \"BMT-dəki mənbələr\"ə istinad edən səs yazıları göndərilib. \"ÜST, Britaniyanın Milli Səhiyyə Xidməti və Xəstəliklərə Nəzarət Mərkəzi kimi ictimai sağlamlığı müdafiə xidmətləri ən etibarlı mənbə olaraq qalmaqdadırlar\" - \"FullFakt\" faktlyoxlama təşkilatınn nümayəndəsi Kler Min belə deyir. Qeyd edək ki, bu təşkilatların ancaq rəsmi bəyanatlarına diqqət etmək lazımdır. Ekspertlər yanıla bilər, ancaq onlar anonim \"tanış həkimdən\" və ya dayıdan daha etibarlı mənbədirlər. 3. Bu, saxta ola bilərmi? Xarici görünüş aldadıcı ola bilir və saxta xəbərlərin çoxunu məhz bu prinsiplə hazırlayırlar - rəsmi mənbələrin sənədlərinə oxşadaraq. Belə xəbərləri hazırlayanlar BBC də daxil olmaqla, böyük təşkilatları və dövlət idarələrini imitasiya edirlər. Məsələn, bu yaxınlarda Moskvada komendant saatının tətbiqiylə bağlı saxta əmr yayılmış, hökumət təkzib etmişdi. Xəbər təşkilatlarının və dövlət idarələrinin blanklarını saxtalaşdırmaq çətin deyil; o cümlədən, təşkilatların sosial şəbəkələrdəki rəsmi səhifələrini də. Saxta mətn müəlliflərinin daha bir sevimli üsulu xəbər buraxılışlarından skrinşot hazırlamaqdır. \"Polşa arağı koronavirusu öldür\" başlıqlı xəbər və qeyd: \"Peyvəndlər burda!\" Ona görə də sosial şəbəkələrdə xəbər agentliklərinin, dövlət idarələrinin və ictimai təşkilatların rəsmi saytlarına istinad etmək lazımdır. Ən doğrusu sosial şəbəkələrdə oxuduğunuz informasiyaları etibarlı mənbələrdəki məlumatlarla tutuşdurmaqdır. Sizdə şübhə oyadan status və ya videonu dəqiqləşdirməniz işin xeyrinə olardı. 4. Əmin deyilsinizsə, paylaşmayın Sizə ötürülən informasiyanın doğruluğuna tam əmin deyilsinizsə, dostlarınıza və yaxınlarınıza göndərməyin. Bu, problemin həllindən çox, onun yaranmasına gətirib çıxarar, ona görə də şübhəli məlumatları \"hər ehtimala qarşı\" deyib tirajlamaq lazım deyil. Bir çoxları inanmadıları xəbərləri paylaşıb ekspertlərdən onlara rəy bildirməyi xahiş edirlər. Bu, faydalı üsuldur, ancaq əmin olmalısınız ki, məlumata inanmadığınızı və mütəxəssis rəyi eşitmək istədiyinizi statusunuzda aydın ifadə etmisiz. Bundan başqa, unutmayın ki, paylaşdığınız şəkillər aktiv şəkildə tirajlanmağa başlasa, hər cür kontekstdən məhrum olacaqlar. 5. Faktların hamısını yoxlayın \"WhatsApp\"-da koronavirusla bağlı çox populyar bir feyk dolaşır. BBC-yə onu müxətlif ölkələrdə yaşayan onlarla insan göndərib. Həmin audioyazıda \"iş yoldaşının bir həkim dostuna\" istinadən çoxsaylı (həm faydalı, həm də faydasız) məsləhətlər səsləndirilir. Faktlarla uydurulanların sintezi - təbliğatın əsas prinsiplərindən biri budur. Ən azı bir maddəsinin düz olduğunu bildiyiniz tövsiyələr siyahısıyla rastlaşanda, digər maddələrə də inanmağınız asan olur. 6. Emosiyasız davranın Bizdə müəyyən emosiyalar - qorxu, narahatlıq, kədər və ya sevinc hissləri oyadan informasiyalar çox təsiredici olur. \"Dezinformasiyanın başlıca hərəkətverici qüvvələrindən biri qorxudur. Belə informasiyalar insanlarda yaratdıqları qorxu hissinə görə \"qol-qanad aça\" bilirlər\" - dezinformasiyayala mübarizədə jurnalistlərə yardım edən \"First Draft\" təşkilatının nümayəndəsi Kler Uorld belə deyir. Saxta xəbər müəllifləri həyəcan hissini dərhal fəaliyyətə keşmək çağırışlarıyla yaratmağa çalışırlar. Uordl həmçinin qeyd edir ki, \"İnsanlar həmişə öz yaxınlarına kömək etmək istəyirlər. Ona görə də \"VİRUSU yox etməklə bağlı məsləhətlər!\" və ya \"Bu dərmanı için\" yazılmış məlumatları ozuyanda, dərhal nəsə etmək istəyirlər\". 7. İnformasiyada qərəz olub-olmadığını düşünün Hər hansı informasiyanı onun doğruluğuna inandığınız və dünyaya baxışınıza uyğun gəldiyini bildiyiniz üçünmü paylaşırsız? \"Demos\" sosial media institutunun nümayəndəsi Karl Miller deyir ki, paylaşdığımız məlumatlar dünyayla bağlı təsəvvürlərimizin təsdiqidir: \"Bizim ən müdafiəsiz olduğumuz vaxt saxta xəbəri enerjili şəkildə təsdiqlədiyimiz andır. Məhz o an susmağı bacarmaq lazımdır\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43798166", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43819815", "doc1": "সৌদি আরবে সিনেমা খুলছে কিছুদিনের মধ্যেই কিন্তু যে দেশে সাড়ে তিন দশক সিনেমা নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে হঠাৎ কি কারণে সিনেমা আবার 'বৈধ' হয়ে গেল? এর কারণ নিহিত আছে সৌদি সমাজে যে ব্যাপকতর পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে তার ভেতর। বিংশ শতাব্দীতে আল-সৌদ পরিবারের ক্ষমতার উৎস ছিল দুটি। একটি হচ্ছে তাদের তেল সম্পদ, আর দ্বিতীয়টি হলো রক্ষণশীল ইসলাম ধর্মীয় নেতাদের সাথে একটা অনানুষ্ঠানিক 'চুক্তি'। 'কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে' - লিখছেন ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথ্যাম হাউসের বিশ্লেষক জেন কিনিনমন্ট। 'কারণ একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেখা যাচ্ছে যে তেলের অর্থ এখন আর সরকারি ব্যয় মেটানো বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট নয় এবং সৌদি রাজপরিবারের নতুন নেতাদের ওপর ধর্মীয় নেতাদের প্রভাবও কমে গেছে। সৌদি আরবের জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ এবং এর বেশিরভাগই তরুণ যাদের বয়েস ৩০-এর নিচে। তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্যই বাদশাহ সালমান নতুন যুবরাজ করেছেন তার ৩২ বছর বয়স্ক পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে - যাকে ডাকা হচ্ছে 'এমবিএস' নামে। এই এমবিএস-ই এখন সৌদি আরবের ভবিষ্যত গতিপথ তৈরির প্রধান সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সৌদি আরবে হঠাৎ কেন এতো পরিবর্তন সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি সৌদি আরবে কে এই প্রবল ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ সৌদি আরবে তৈরি হবে বিশাল 'বিনোদন নগরী' সৌদি আরবে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে তিনি কার্যত একটা নতুন মডেল দিচ্ছেন সৌদি আরবের জন্য: বেশি করে কাজ করো, জীবনের আনন্দ উপভোগ করো - কিন্তু সৌদি সিস্টেমের সমালোচনা করো না। এভাবেই তিনি নাগরিকদের আরো বেশি রাজনৈতিক অধিকার দেবার যে চাপ তা মোকাবিলা করতে চাইছেন। অনেকটা প্রতিবেশী দুবাইয়ের মতো, তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতা বাড়াচ্ছেন না - তার পরিবর্তে সামাজিক স্বাধীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সিনেমা হল খোলা তারই অংশ। কিন্তু একটা গুরুতর প্রশ্ন হলো: সৌদিরা কি আসলেই আরো উদার সমাজ চায়? প্রকৃতপক্ষে সৌদি সমাজ বহুবিচিত্র, এখানে নানা ধরণের লোক আছে। এখানে এক মিলিয়নের বেশি লোক বিদেশে লেখাপড়া করেছে, আর বাকিরা এখনো পুরো ঐতিহ্যগত জীবনে ডুবে আছে। মোহাম্মদ বিন সালমান যেভাবে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিচ্ছেন, সিনেমা হল খুলে দিচ্ছেন - এতে সৌদি সমাজে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে যে পরিবর্তনে গতি কতটা দ্রুত হওয়া উচিত, এবং কি থরণের সংস্কৃতি সেখানে গড়ে ওঠা উচিত? সৌদি আরবে বহু পরিবর্তেনর পেছনে আছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই বিতর্কটা সবচেয়ে বেশি জোরালো নারীদের অধিকারের ক্ষেত্রে। সৌদিদেরদ দু-তৃতীয়াংশই অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে একটি করে সিনেমা দেখে। ১০ জনের ৯ জনের হাতেই স্মার্টফোন আছে। অনেকে সস্তা প্লেনের টিকিট নিয়ে বাহরাইন বা দুবাইয়ে সিনেমা দেখতে যায়। সৌদি বিমান সংস্থার ফ্লাইটে সিনেমা দেখানো হয়, তবে সেখানে মেয়েদের খোলা বাহু বা মদের বোতলের মতো 'অনুচিত' জিনিসের দৃশ্য ঝাপসা করে দেয়া হয়। দু'চারজন সৌদি এখন সিনেমা বানাতেও শুরু করেছেন। এমবিএস সৌদি আরবের ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন 'মডেল' নিয়ে আসছেন আসলে সৌদি আরবে সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জনমতের কারণে আরোপ করা হয় নি - করা হয়েছিল মৌলবীদের সন্তুষ্ট করতে। দেশটির গ্রান্ড মুফতি বলেছিলেন, সিনেমায় নির্লজ্জ এবং অনৈতিক জিনিসে দেখা যেতে পারে, এবং তা নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা উৎসাহিত করতে পারে। একসময় এসব কথা বড় আলোচনা তৈরি করতো। এখন আর তা করে না। এমবিএসের সময় সৌদি সরকার মনে করছে যে এই ধর্মীয় নেতাদের হাতে বেশি ক্ষমতা থাকা রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক, কারণ তা উগ্রপন্থা উস্কে দিতে পারে বা রাজনৈতিক ক্ষমতা-ভাগাভাগির দাবিও তুলতে পারে। এখন বরং সৌদি সরকার ইঙ্গিত দিচ্ছে - আগামীতে এই ধর্মীয় নেতাদের হাতে ক্ষমতা ও প্রভাব থাকবে আগের চাইতে কম। সৌদি আরবে চলমান নাটকীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের খেলার মূলে আছেন নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আরো পড়ুন: পুলিৎজার পুরস্কার জয়ীদের দলে প্রথম বাংলাদেশি 'রোহিঙ্গা ফেরতে জাতিসংঘকে মেনে নিচ্ছে মিয়ানমার' রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে রুল চেয়েছেন আইসিসি কৌঁসুলি", "doc2": "Səudiyyəlilər xarici filmlərə onlayn baxıblar Bəs görəsən onilliklərdir ki, kinoteatrların fəaliyyəti qadağa altında olan ölkədə kinoya getməyə niyə izn verilir? Bu, Səudiyyə cəmiyyətində dərin dəyişiklərin təzahürüdür, Chatham House Kral Araşdırmalar İnstitutundan Jane Kinninmont-un BBC-nin sifarişi ilə hazırladığı təhlildə qeyd olunur. Başqa Yaxın Şərq ölkələrində olduğu kimi 32 milyonluq monarxiya əhalisinin çoxu 30 yaşına çatmamış gənclərdir. 32 yaşlı şahzadə Məhəmməd bin Salmanın vəliəhd təyin olunması məhz cəmiyyətin gənc qisminin maraqlarını təmin edilməsilə bağlıdır. Lakin onun qarşısında çətin vəzifə durur, BBC-nin sifarişi ilə yazılan məqalədə deyilir. Vəliəhd iqtisadiyyatın neftdən asılılığını azaltmalıdır. Bunun nəticəsində gənclərin həyat səviyyəsi onların valideynlərinə nisbətdə daha aşağı ola bilər. Jane Kinninmont yazır ki, evlə təminatın dəyərinə görə tez-tez şikayətlərə rast gəlmək olar. Bu arada səhiyyə və təhsil sahəsində artıq özəlləşmə başlayıb. Bəzi qərbli təhlilçilərə görə, müəyyən mərhələdə Səudiyyə hakimiyyəti əhaliyə göstərilən iqtisadi yardımı məhdudlaşdırmalı olacaq. Bu isə daha geniş siyasi hüquqların verilməsinə dair təzyiqləri artıra bilər. Lakin belə görünür ki, Məhəmməd bin Salmanın təklif etdiyi model bir qədər fərqlidir, Jane Kinninmont-un təhlilində deyilir. İyun ayından qadınlar avtomobil idarə edə biləcəklər Onun fikrini belə təsvir etmək olar: \"Daha çox işlə, sistemi tənqid etmə və daha çox əylən\". Dubayda olduğu kimi o, geniş siyasi azadlıqlardansa müəyyən dərəcəli sosial azadlıqları təklif edir. Bəs görəsən səudiyyəlilər daha liberal cəmiyyət arzulayırmı? İllər boyu rəsmilər cəmiyyətin mühafizəkar olduğunu deyib; hazırda belə bir təəssürat yaranır ki, onlar açıq, dinamik və texnologiya meyillidir. Geniş ərazi boyunca yayılan əhali həm təcrübə, həm də ki, gəlir səviyyəsinə görə çox fərqlənir. Bir milyonadək insan xaricdə təhsil alıb, əhalinin qalan hissəsi isə olduqca ənənəvi həyat tərzi ilə yaşamaqdadır. Qadınların həyatına gəlincə, fərqlər daha qabarıq şəkildə nəzərə çarpır. Çünki onların oxumağı, işləməyi və səyahət etməsinə dair qərar himayəçi kişi qohumu tərəfindən verilir. Jane Kinninmont-un fikrincə, texnologiya dövründə kinoteatrlara qadağa xüsusilə cəfəng görünür, çünki insanların çoxu filmləri internetdə seyir edir. Həmçinin ucuz reyslərlə qonşu Bəhreyn və Dubaya baş çəkənlər orada kinoya gedə bilər. Saudi Airways şirkətinə məxsus təyyarələrin göyərtəsində filmlər göstərilir, hərçənd, açıq qol və yaxud da şərab kimi bəzi \"qeyri-mütənasib görüntülər\" toran görsədilir. Kinoteatrlara qadağa yalnız ictimai fikrə əsasən qəbul olunmamışdı, o, nüfuzlu ruhaniləri də sakitləşdirməli idi. Səudiyyə qadınları qısametrajlı film festivalında Hakimiyyətlə ruhanilər arasında qeyri-rəsmi sövdələşməyə görə dini xadimlər əhalini itaətə çağırıblar. Hazırda isə vaizlərin siyasi və ictimai rolu da dəyişməkdədir. Dövlət tərəfindən təyin olunmuş ruhanilər vəzifələrində qalıb mühafizəkar baxışları izhar etsə də, siyasi liderlərin qərarlarına hörmətlə yanaşır. 2017-ci ildə baş müfti deyib ki, kinoteatrlar cinsləri bir araya gətirməyə həvəsləndirə, \"biədəb və əxlaqsız\" filmlər nümayiş etdirə bilər. Hazırkı ölkə rəhbərliyi hesab edir ki, nüfuzlu ruhanilər siyasi cəhətdən təhlükə təşkil edə bilər. Hökumət vaizlərin qüdrət və nüfuzunun keçmişə nisbətdə azalacağına dair işarələr verir. Rəsmi dəyərləndirmələrə görə, Yaxın Şərq bölgəsinə yollanan səudiyyə vətəndaşları ötən il ərzində əyləncə və qonaqlığa təqribən 30 mlrd. dollar xərcləyiblər ki, bu da ölkə ÜDM-nin 5 faizinə yaxındır. Belə bir fikir səslənir ki, neft gəlirlərinin məhdudlaşdığı bir şəraitdə həmin vəsaitləri ölkəyə cəlb etməklə yeni iş yerlərini qurmaq olar. Yeri gəlmişkən, ilk kinoteatrların sahibi də dövlət qurumu ilə beynəlxalq AMC şəbəkəsidir. Yəni hakimiyyət kinoteatrlara izn verməklə kifayətlənmir, o, həmçinin oradan gəlir də əldə etmək niyyətindədir. \"Bəs niyə indi?\" sualı əvəzinə sual belə səslənə bilər: \"Bu, niyə belə uzun çəkdi?\", - BBC-nin sifarişilə hazırlanan Jane Kinninmont-un təhlilində qeyd olunur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46449506", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/vert-fut-46442979", "doc1": "এলার্জিযুক্ত খাবার। গত অগাস্টে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ছয় বছরের এক মেয়ে দুগ্ধজাত খাবারের অ্যালার্জিতে মারা যায়। এছাড়া সম্প্রতি তিল এবং চিনাবাদাম খাওয়ার কারণে দুই ব্রিটিশ শিশুর মৃত্যুর খবর বিষয়টিকে নতুন করে সামনে আনে। গত কয়েক দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই অ্যালার্জি প্রবণতা বেড়ে যাওয়া চোখে পড়ার মতো। উন্নয়নশীল দেশে এই অ্যালার্জির হার কম হলেও একেবারে যে নেই তা বলা যাবেনা। জরিপে দেখা গেছে, গ্রামের চাইতে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেই এই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর ব্যস্ত নগরে কারো খাবার নিয়ে এ ধরণের বাধা নিষেধ সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে বোঝা হতে পারে। অ্যালার্জির হার কেন বাড়ছে এবং একে মোকাবেলা করার উপায় খুঁজতে তা নিশ্চিত করতে গবেষকরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আরও পড়তে পারেন: কী খাচ্ছেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাচ্ছেন পরিবারের সাথে খাওয়ার সময় ফোন দূরে রাখতে চান? খাবেন, কিন্তু মেদ জমবে না - কীভাবে সম্ভব? পিনাট বাটার। কোন কোন খাবারের কারণে অ্যালার্জি হয়ে থাকে? অ্যালার্জি হওয়া না হওয়া সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবেশের নানা উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যেটা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। শরীরের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বলা হয় অ্যালার্জেন। এই অ্যালার্জেন যদি কখনও সংক্রমিত হয় তাহলে নানা ধরণের অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন: ত্বকের লাল রঙ ধারণ, চামড়ায় লাল চাকা চাকা হয়ে যাওয়া, বা শরীরের কোন অঙ্গ ফুলে ওঠা। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে - বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যানফিল্যাকটিক শক দেখা দিতে পারে। চিনা বাদাম। শিশুরা কয়েক ধরণের খাবারে অ্যালার্জিক হয়ে থাকে সেগুলো হল: বিশ্বে অ্যালার্জিতে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে অ্যালার্জি কেন এতোটা বেড়ে গেছে? বিশ্ব দিনে দিনে কেন খাদ্য অ্যালার্জিক হয়ে উঠছে তার কোন একক ব্যাখ্যা নেই। তবে এ নিয়ে বিজ্ঞানের কিছু তত্ত্ব রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, বর্তমানের উন্নত স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতা জ্ঞান। এখনকার শিশুরা আগের মতো সংক্রমণ রোগের শিকার হয় না বললেই চলে। রোগজীবাণুর সংস্পর্শে আসার বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে কাজ করবে এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। খাবারের প্রতি মানুষের ক্রমেই এতোটা সংবেদনশীল বা অ্যালার্জিক হয়ে ওঠার পেছনে আগে পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়কে মূল কারণ বলে ভাবা হতো। এর সঙ্গে পশ্চিমা জীবনযাত্রার সংশ্লিষ্টতাও খোঁজেন অনেকে। জরিপে দেখা গেছে, অভিবাসীদের নিজ দেশের তুলনায় গৃহীত দেশে হাঁপানি ও খাদ্য অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। পরিবেশগত পার্থক্যের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়া দূষণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং রোগজীবাণুর সংস্পর্শে কম আসাকেও অ্যালার্জির হার বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ বলে ধরা হয়। ব্রিটিশ কিশোরী নাতাশা এদনান ল্যাপেরোস, তিল দেয়া রুটি খেয়ে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। করণীয় কী? আমাদের শরীর ঠিক যে প্রক্রিয়ায় অ্যালার্জির সঙ্গে মোকাবিলা করে ঠিক একইভাবে এটি পরজীবী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ানোর প্রতি নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে শরীরের অ্যালার্জি প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যায়। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি পায় না। এর প্রধান কারণ হল তারা সূর্যের তাপে কম সময় ব্যয় করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ভিটামিন ডি অভাবের হার গত এক দশকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। একটি নতুন, \"ডুয়েল অ্যালার্জেন এক্সপোজার\" তত্ত্ব দিয়েও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা যায়। এই তত্ত্ব বলছে যে খাদ্য অ্যালার্জিতে শিকার হওয়া না হওয়া নির্ভর করে ওই খাবার গ্রহণের সময়, পরিমাণ এবং ফর্ম অফ এক্সপোজার বা কিভাবে অ্যালার্জিক আক্রমণ হয় তার ওপর। একটি শিশু আইসক্রিম খাচ্ছে। শিশুকে দুধ পান করানোর সময় মা যদি নিজে সব ধরণের খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে এর ফলাফল বেশ ভাল হয়। এতে মা ও শিশুর অ্যালার্জি সংক্রমণের হার কমে যায়। কেননা এ সময় অন্ত্রের ইমিউন সিস্টেম যে কোন ধরণের ব্যাকটেরিয়া বা নতুন খাবারের নানা অপরিচিত উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকে। এছাড়া শিশুদের একদম অল্প বয়স থেকেই অ্যালার্জি সংবেদনশীল খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করলে তাদের এই সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা থাকেনা। লন্ডন কিংস কলেজের গবেষকরা এ নিয়ে পাঁচ বছরের শিশুদের ওপর জরিপ চালায়। সেখানে দেখা গেছে যে, যারা ছোট থেকেই নিয়মিত চিনাবাদাম খায় তাদের এই বাদামে অ্যালার্জির হার ৮০ শতাংশ কমে যায়। একটি শিশুর হাতের চামড়া থেকে অ্যালার্জির নমুনা নেয়া হচ্ছে। সচেতনতা ও চিকিৎসা: বর্তমান বিশ্বে খাদ্য অ্যালার্জির কোন প্রতিকার নেই। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ন্ত্রণের ওপরে। যার অন্যতম শর্ত হল সংবেদনশীল খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে প্রতিটি খাবারের সঠিক লেবেলিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন গবেষকরা। যদি আক্রান্ত হয়েই যান তাহলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেয়াকেও তারা গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে অ্যালার্জি সংক্রমণ নির্ণয় করা একটি চ্যালেঞ্জ। কেউ কোন বিশেষ ধরণের খাদ্যে অ্যালার্জিক কিনা এটা বুঝতে হলে তাকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সেই খাবারটি ধীরে ধীরে বেশি পরিমাণে খেয়ে পরীক্ষা করতে হবে। তবে, এই পদ্ধতি শিশুদের জন্য বিরক্তিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুরা নাস্তা খাচ্ছে। এছাড়া প্রচলিত মেডিকেল পরীক্ষা মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করা যায় ঠিকই এতে অনেক সময় ভুল তথ্য পাওয়া। অনেক সময় এমন হয়েছে যে, পরীক্ষায় একটি খাবারে শিশুর অ্যালার্জি সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। অথচ ওই শিশুর হয়তো এমন কোন সমস্যাই নেই। তাই অ্যালার্জি সংক্রমণ আছে কিনা তা বুঝতে কিংস কলেজের গবেষকরা বিকল্প হিসেবে রক্ত পরীক্ষার কথা বলেছেন। তাদের উদ্ভাবিত এই পন্থায় নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষায় যদি সঠিক ফলাফলও পাওয়ায় তাও ট্রিগার ফুড বা বিভিন্ন সংমিশ্রিত খাবার চাইলেও সবসময় এড়িয়ে চলাটা কঠিন। আর এসব খাবার খেলে যেকোনো সময় অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। অ্যালার্জি ইমিউনোথেরাপি -এই পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যালার্জিক পদার্থের অল্প পরিমাণে সরবরাহ করা হয় - যা রোগীদের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অকস্মাৎ আক্রান্ত হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।", "doc2": "Biri küncüt, digəri yer fıstığı yedikdən sonra, həyatını itirən iki britaniyalı yeniyetmə allergiya ilə bağlı narahatlıqları daha da artırıb. Avqust ayında isə Qərbi Avstraliyada altı yaşlı bir qız süd məhsullarına qarşı allergiyası səbəbi ilə ölüb. Son illərdə allergiya artımı daha çox Qərb ölkələrində qeydə alınır. Məsələn, hazırda qida allergiyasından əziyyət çəkən uşaqların sayı Birləşmiş Krallıqda (BK) 7%, Avstraliyada 9% təşkil edir. Avropa boyu qida allergiyasına sahib olan yetkinlər üzrə göstərici isə 2 faizdir. Allergiyaya səbəb olan qidanın bir damcısı belə həyat üçün təhlükəli reaksiyalara səbəb olur. Bu isə ailələrin qorxu və təşvişinə yol açır. Pəhriz məhdudiyyətlərinə əməl etmək insanların həm sosial, həm də ailə həyatına təsirsiz ötüşmür. Allergiya göstəricilərinin artmasına nəyin səbəb olduğunu dəqiq deyə bilməsək də, dünyanın hər bir tərəfindən tədqiqatçılar bu fenomenlə mübarizə yolunda gərgin işləyirlər. Allergiyaya nə səbəb olur? Allergiya immun sisteminin ətraf mühitdə zərərsiz sayılan allergen adlı maddələr ilə mübarizəsi zamanı yaranır. Bu günahsız maddələr hədəfə çevrilirlər və allergik reaksiyalara səbəb olurlar. Simptomlara dərinin qızarması, qabarması və şişkinlikdən tutmuş qusma, ishal, çətinliklə nəfəsalma və anafilaktik şoka qədər bir çox əks-təsirlərlə daxildir. Uşaqların allergik olduğu bəzi qidalara aşağıdakılardır: Qida allergiyaları daha çox harada qeydə alınır? Ötən 30 il ərzində qida allergiyalarının tezliyi daha da artıb. Xüsusilə də sənayeləşmiş cəmiyyətlərdə. Artımın dəqiq ölçüsü isə qida və xəstənin yaşadığı yerdən asılıdır. Məsələn, 1995 və 2016-cı il aralığında BK-da yer fıstığına qarşı allergik olanların sayı beş dəfə artıb. Londonun King's Kollecində 1300 üç yaşlı uşaq arasında aparılan EAT Araşdırması göstərib ki, iştirakçılardan 2.5 faizində yer fıstığına qarşı allergiya var. Qida allergiyasının təsdiqlənmiş şəkildə ən yüksək olduğu ölkə Avstraliyadır. Bir tədqiqatda, 1 yaşlı uşaqların doqquz faizinin yumurtaya, üç faizinin yer fıstığına allergiyası müəyyənləşib. Allergiyaların artımı yalnız cəmiyyətin onlar haqqında məlumatlanması və daha səlis diaqnoz qoymaq bacarığına təsiri ilə ölçülməməlidir. Allergiyalar və qidalara qarşı həssaslığın yüksəlməsinin mühit və Qərb həyat tərzi ilə bağlı olduğu düşünülür. Allergiya göstəricilərinin inkişaf edən ölkələrdə daha aşağı olduğunu bilirik. Həmçinin bənzəri hallarla daha çox şəhərlərdə qarşılaşırıq, nəinki kəndlər və ya ucqar ərazilərdə. Faktorlar arasında çirklənmə, pəhriz vərdişlərinin dəyişməsi və immun sisteminin cavab reaksiyasını dəyişən mikroblara daha az məruz qalma göstərilir. Miqrantların immun sistemlərinin doğulub-böyüdükləri ölkədən daha çox pənah apardıqları ölkədə astma və qida allergiyasına qarşı həssas olduğu deyilir. Bu isə mühit ilə bağlı faktorların əhəmiyyətini göstərir. Bəzi mümkün izahlar Dünyanın qidalara qarşı artan allergiyasının arxasında yatan səbəbin yeganə izahı yoxdur, lakin elm bəzi nəzəriyyələr irəli sürür. Onlardan biri artan gigiyenadır ki, uşaqlar yetəri qədər infeksiyaya yoluxmurlar. İnfeksiyalar zamanı - xüsusilə də parazitar infeksiyalar - allergiya ilə mübarizədə iştirak edən mexanizmlər hərəkətə keçir. Mübarizə aparmaq üçün kifayət qədər parazitlə qarşılaşmayan immunitet sistemi üzünü zərərsiz maddələrlə qovğaya tutur. Başqa bir ideya isə immun sisteminin sağlam cavab reaksiyasını inkişaf etdirməsi üçün vitamin D-dən istifadədir. Bu zaman orqanizm allergiyalara daha az şübhə ilə yanaşa bilər. Dünya sakinlərinin əksəriyyəti kifayət qədər D vitamini qəbul etmir. Bunun müxtəlif səbəbləri olar bilər və onlardan biri də günəşdə az vaxt keçirməkdir. ABŞ-da ötən on il ərzində vitamin D çatışmazlığının iki dəfə artdığı deyilir. \"İkiqat allergenə məruz qalma\" kimi bilinən yeni bir nəzəriyyə isə təklif edir ki, qida allergiyasının inkişafına səbəb zaman, doza və məruz qalmanın əsası arasındakı balansdır. Misal üçün, allergiya antikorlarının inkişafı dəridə, xüsusilə də dərisi ekzemadan yaranan şişdən əziyyət çəkən körpələrdə baş verə bilər. Lakin zənn edilir ki, süddən kəsən əsnada körpəyə allergiya yaradan qidalar vermək sağlam reaksiya və allergiyanın qarşısını almağa səbəb olar bilər. Çünki bu zaman bağırsağın immun sistemi qida kimi orqanizmə daxil olan bakteriya və xarici maddələrə qarşı daha dözümlü olur. Londonun King's Kollecinin LEAP adlı tədqiqatının əsasını da bu son nəzəriyyə təşkil edib. Nəticədə doğulduğu ildən bəri yer fıstığı qəbul edən beş yaşlı uşaqların 8 faizində yer fıstığına qarşı allergiyanın azlığı müşahidə olunub. Bu tədqiqat ABŞ-da uşaqlıqdan yer fıstığının qəbulu ilə bağlı qaydalarda dəyişikliyə təkan verib. BK-da valideynlərin əvvəlcə həkimləri ilə məsləhətləşmələri tövsiyə olunur. İnsan təsiri Qida allergiyasından əziyyət çəkən britaniyalı yeniyetmələrin ölümü hadisələri bu vəziyyətə insan təsiri üzərinə işıq salır və aydın və dəqiq etiket məlumatlarının əhəmiyyətini önə çəkir. Qida allergiyasının hazırda bir əlacı yoxdur və vəziyyəti idarə etmək üçün törədici qidalardan uzaq durmaq və fövqəladə halları nəzərdə tutaraq müalicə planı cızmaq məsləhətlidir. Lakin ilkin diaqnoz qoymaq belə çətindir. Pasient üçün qida allergiyasını müəyyənləşdirməyin əsas yolu həmin qidanı tibbi nəzarət altında yemək və tədricən miqdarını artırmaqdır. Ancaq bu uşaqlar üçün gərgin proses ola bilər və allergik reaksiya riski törədər. Onların immun sistemləri üzərində aparılan testlər də allergik olmayan uşaqlar üçün yanlış diaqnoz təhlükəsi yaradar. Londonun King's Kollecində biz, bir alternativ variant inkişaf etdirmişik. Mövcud olan metodlarla müqayisədə, yer fıstığı allergiyasının dəqiq diaqnozunu bir qan analizi ilə müəyyənləşdirmək mümkündür. Bu analizlər artıq uşaq allergiyalarını törədən qidaların 90 faizini üzə çıxara bilir və ümid edilir ki, gələn bir neçə il ərzində pasiyentlərə təqdim olunacaq. Hətta uğurlu diaqnozdan sonra belə, allergiyaya səbəb olan qidalardan qaçmaq çox çətindir və təsadüfi reaksiyalar ümumi haldır. Allergen immunoterapiyası - maddənin kiçik miqdarda tətbiqi - allergik pasientlərdə həssaslığın azalmasına səbəb olub və onları həmin qidaların təsadüfi qəbulu zamanı müdafiə edə bilər. Bu yaxınlarda aparılan immunoterapiya dərman sınağı, yer fıstığına qarşı allergiyası olan insanların 67 faizinin bir ildən sonra, 2 yer fıstığı ləpəsi yeyə bildiyini göstərib. Bu, kontrol edilən qrupdakı 4 faiz şəxslə müqayisədə qeydə alınıb. Qida allergiyası üçün hələ araşdırma səviyyəsində olan başqa müalicələr də mövcuddur və bunlara ehtiyac son dərəcə böyükdür. Hələliksə allergiyalar uşaqlar və onların valideynləri üçün narahatlıq mənbəyi və gündəlik həyatlarının bir hissəsi olmaqda davam edir. Materialın redaktoru: Eleanor Lawrie"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42326657", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42099971", "doc1": "মাছির দেহের লোমগুলো জীবাণু আকৃষ্ট করে মাছির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে আমেরিকান গবেষকরা বলছেন ঘরের মাছি আর নীল মাছি মিলে ৬০০য়ের বেশি বিভিন্নধরনের রোগজীবাণু বহন করে। এর মধ্যে অনেক জীবাণু মানুষের শরীরে সংক্রমণের জন্য দায়ী, যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখের জন্য দায়ী জীবাণু, রক্তে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন জীবাণু এবং নিউমোনিয়ার জীবাণু। পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছি এসব জীবাণু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তাদের পা আর ডানার মাধ্যমে। গবেষকরা বলছেন মাছি তার প্রত্যেকটি পদচারণায় লাইভ জীবাণু ছড়াতে সক্ষম। \"লোকের এমন একটা ধারণা সবসময়ই ছিল যে মাছি রোগজীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এই ধারণার বাস্তব ভিত্তি কতটা এবং আসলেই মাছি কতটা ব্যাপকভাবে রোগজীবাণু বহন করে এবং তা ছড়ায় সেটা জানা ছিল না,'' বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক ডোনাল্ড ব্রায়ান্ট যিনি এই গবেষণার সঙ্গে কাজ করছেন। মহামারী ও মাছি এই গবেষণায় ডিএনএ বিন্যাস পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘরের মাছি ও নীল মাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা আণুবীক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখা যায় ঘরের মাছি যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে তা ৩৫১ ধরনের রোগজীবাণু বহন করে। আর নীল মাছি যা দেখা যায় মূলত গরম দেশে, তা ৩১৬ ধরনের রোগজীবাণু বহন করে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জীবাণুই দুই ধরনের মাছি বহন করে। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামে একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হচ্ছে রোগজীবাণু ছড়ানোর জন্য মাছি কতটা দায়ী সে বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। \"আমাদের ধারণা, জীবাণু সংক্রমণে মাছির ভূমিকা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে কখনও দেখেননি এবং কোন রোগব্যাধি মহামারী আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে মাছির ভূমিকা অর্থাৎ মাছি কত দ্রুত রোগজীবাণু ছড়াতে সক্ষম তা নিয়ে যথাযথ গবেষণাও হয়নি,\" বলেন প্রফেসর ব্রায়ান্ট। তিনি বলেন, ''খোলা জায়গায় অনেকক্ষণ পড়ে থাকা খাবারটা আপনি খাবেন কীনা, এটা কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।'' ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে নীল মাছির মাথা ঘরের মাছি অস্বাস্থ্যকর একথা নতুন নয়। তারা আবর্জনাস্তুপে উড়ে বেড়ায়। পচা খাবার, মরা জীবজন্তুর দেহ এবং বর্জ্য পদার্থই তাদের চারণভূমি। মানুষের শরীরে নানাধরনের রোগব্যাধি এমনকী জীবজন্তু ও গাছের মধ্যেও নানা রোগ ছড়ানোর কারণ মাছি। মরা পশুপাখির শরীরের কাছে বেশি নীল মাছি উড়তে দেখা যায়। শহর এলাকায় নীল মাছি চোখে পড়ে বেশি। মাংসের দোকান, পশু জবাইয়ের জায়গা এবং আবর্জনাস্তুপের কাছে নীল মাছির উপদ্রব বেশি। আরো পড়ুন: হামলার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন আকায়েদ এক সপ্তাহের জন্য রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ ভারতে টিভিতে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন শুধু রাতে", "doc2": "Bakteriyalar milçəyin ayaq qılcılarına yapışır. Ev milçəkləri və leş milçəkləri 600-dən çox müxtəlif bakteriya daşıyır, keçirilmiş DNT analizi aşkar edib. Bu bakteriyaların əksəriyyəti insan xəstəlikləri ilə əlaqəlidir, o cümlədən bağırsaq xəstəlikləri, qan zəhərlənməsi və sətəlcəm ilə. Təcrübələrdən müəyyən olunub ki, milçək bakteriyaları ayaq və qanadları ilə yayır. Alimlərə görə, milçəyin hər bir yerdəyişməsi mikrobların yayılmasına gətirib çıxarır. Milçəyin baş hissəsi mikroskop altında belə görünür. Tədqiqatın müəlliflərindən biri, Pennsyvania Dövlət Universitetinin professoru Donald Bryant BBC-yə deyib: ''Milçəklərin bakteriya yaydığı məlum idi, lakin bunun bu dərəcədə böyük miqyasda baş verməsi barədə təsəvvür yox idi\". DNT təhlili nəticəsində ev miçəyinin 351 bakteriya növü, leş milçəyinin isə 316 bakteriya növü daşıdığı aşkar olunub. Bu bakteriyaların əksəriyyətini milçəklərin hər ikisi daşıyır. Scientific Reports elmi dərgisində dərc olunan araşdırmanın müəllifləri qeyd edib ki, səhiyyə xidmətləri, mümkündür ki, milçəklərin infeksiyalı xəstəliklərin yayılmasında roluna hələlik lazım olan dərəcədə diqqət yetirməyib. \"Biz hesab edirk ki, miçləklər patogenlərin sürətlə yayılmasında iştirak edir\", - professor Donald Bryant deyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40769202", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/azerbaijan-40776002", "doc1": "আলিয়া শাগিয়েভা এই ছবিটি সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন গত এপ্রিল মাসে আলিয়া শাগিয়েভা এই ছবিটি সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন গত এপ্রিল মাসে। তার ক্যাপশন হিসেবে তিনি লিখেছিলেন, \"আমার সন্তানকে যখন ও যেখানে খাওয়ানো দরকার, আমি তাকে সেখানে ও তখনই খাওয়াবো।\" ভারতে আবারও বিক্ষোভের মুখে তসলিমা নাসরিন ছবিটি পোস্ট করার সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট কন্যা ও ছবিটির সমালোচনা শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অনৈতিক আচরণের। এই অভিযোগ ও সমালোচনার মধ্যেই তিনি ছবিটি সরিয়ে নেন। কিরগিজ প্রেসিডেন্টকন্যা সোশাল মিডিয়াতে খুবই সক্রিয় পরে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া শাগিয়েভা বলেছেন, তার দেশের সংস্কৃতিতে নারীকে যৌনতা হিসেবেই দেখা হয় বলে ছবিটি নিয়ে এরকম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। \"আমাকে যে শরীর দেওয়া হয়েছে সেটি অশ্লীল নয়। এর অনেক কাজ রয়েছে। আমার শিশুর শারীরিক চাহিদা মেটাতে এর ভূমিকা রয়েছে। এখানে শুধু যৌনতার কিছু নেই,\" বলেন তিনি। শুধু যে সোশাল মিডিয়াতেই তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন তা নয়, তার পিতামাতাও এই ছবি পোস্ট করার ঘটনাটি মেনে নিতে পারেন নি। কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েফ এবং তার স্ত্রী রাইসাও ছবিটির পোস্ট করা নিয়ে খুশি নন। আলিয়া শাগিয়েভা সোশাল মিডিয়াতে নিজের, স্বামীর ও শিশুর প্রচুর ছবি পোস্ট করেন \"তারা আসলেই ছবিটি পছন্দ করেন নি। এবং এটা বোধগম্য কারণ তরুণ প্রজন্ম তাদের পিতামাতার চাইতে কম রক্ষণশীল।\" মিস শাগিয়েভা সোশাল মিডিয়াতে খুবই সক্রিয়। নিজের শিল্পকর্মও তিনি সেখানে পোস্ট করেন। পোস্ট করেন নিজের হাতে আঁকা নিজের, তার স্বামীর এবং সন্তানের প্রতিকৃতি বা পোট্রেট। তিনি বলেন, \"আমি যখন আমার শিশুকে স্তন্যপান করাই তখন মনে হয় যে আমি তাকে সেরা জিনিসটাই দিচ্ছি, যেটা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব। লোকজন যা বলাবলি করে তারচেয়েও আমার শিশুর যত্ন নেওয়া এবং তার চাহিদা মেটানোই আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।\"", "doc2": "Aliya Şaqiyeva Aprel ayında sosial mediada şəkil paylaşan Aliyə Şaqiyeva yazıb: \"Mən körpəmi istədiyi yerdə və istədiyi vaxtda əmizdirəcəm\" Hərəkətinə ədəbsiz davranış damğası vurulduqdan sonra, paylaşımı silsə də, BBC-ə eksklüziv müsahibəsində o bildirib ki, qalmaqala səbəb qadın bədənini seksuallaşdıran mədəniyyətdir. \"Mənə verilən bədən vulqar deyil. O funksionaldır və körpənin ehtiyaclarını ödəmək üçündür,\" o, BBC Qırğızcaya deyib. Aliyə Şaqiyeva deyib ki, qalmaqala səbəb qadın bədənin seksuallaşdırılmasıdır Onun hərəkətindən narazı qalan təkcə sosial media istifadəçiləri olmayıb. Valideynləri, prezident Almazbek Atambayev və xanımı Raisə də bunu bəyənməyiblər. \"Bu onların xoşuna gəlmədi. Və bu tamamilə anlaşılandır, çünki, gənc nəsillər valideynlərindən daha az mühafizəkar olur,\" Qırğızıstanın paytaxtı Bişkek ətrafında yerləşən evində müsahibə verən xanım Şaqiyeva deyib. Xanım Şaqiyeva sosial medianın aktiv istifadəçisidir. Öz sənət əsərləri və özünün, həyat yoldaşı və övladının da şəkilləri daxil olmaqla tez-tez paylaşımlar edir. Onun şəkilləri adətən geniş açılan mənzərələr fonunda çəkilir. Xanım Şaqiyevanın şəkillərinin əksəriyyəti Qırğızıstan mənzərələri fonunda çəkilir Əmizdirmə təkrarlanan mövzudur. \"Mən körpəmi əmizdirərkən onun üçün edə bildiyim ən yaxşı şeyi etdiyimi düşünürəm. Övladımın qayğısına qalmaq və onun ehtiyaclarını ödəmək, insanların haqqımda dedikləri sözlərdən daha vacibdir,\" xanım Şaqiyeva deyib. Aliyə Şaqiyeva kimdir? Mən onunla Bişkekin kənarında yerləşən nüfuzlu bir kvartaldakı əri və oğlu ilə yaşadığı mənzilində görüşdüm. Onun rəsm və fotoları divarları bəzəyirdi və cütlük mənə meyvə və bitki çayı təklif etdi. Bitkiləri pəncərəaltına düzülmüş dibçəklərdə görmək olurdu. Cütlük vegetariandır. Bu isə ətyeyən ölkə üçün nadir bir haldır. Post-Sovet müsəlman cəmiyyəti haqda Aliyə Şaqiyeva tamamilə fərqli düşünür. O, kifayət qədər səmimi təsir bağışladı və məşğul valideynlərin övladı kimi uşaqlıqda hiss etdiyi tənhalığı bölüşməkdən çəkinmədi. O, nəsillər arası boşluqdan söz açdı və valideynlərini anlamaq və güzəştə getmək üçün etdiyi cəhdlərdən danışdı. \"Anamın 'dostları' ona mənimlə bağlı ismarışlar yollayıblar,\" o dedi. \"İndi özüm də anayam və anamın mənim üçün çəkdiyi əziyyətləri anlaya bilirəm.\" Aliyə, Daun sindromlu uşaqlar və heyvan haqları ilə bağlı kampaniyaları aktiv dəstəkləyir və heç bir siyasi ambisiyası yoxdur. Qırğızıstan əhalisinin keçmiş iki prezidentin övladlarının siyasət və biznes meylləri ilə bağlı xatirələri az deyil. Lakin, hazırkı prezident övladlarının siyasətə qarışmayacağı vədini verib. Aliyə Şaqiyeva rəssamlıq və fotoqrafiya ilə məşğul olur Qırğızıstan əsasən müsəlmanlardan ibarət keçmiş Sovet ölkəsidir. Sosial olaraq mühafizəkar cəmiyyətdə, ictimaiyyət arasında uşaq əmizdirmək normal hal sayılır. Qadınları parklar və digər ictimai yerlərdə körpələrinə süd verərkən görmək mümkündür, amma, onlar adətən sinələri üzərinə örtük atırlar. Xanım Şaqiyeva ilk dəfə övladını əmizdirən şəkil paylaşdıqda, bəzi sosial media istifadəçiləri bu qədər intim bir anı paylaşmağı xoş qarşılamamış, bəziləri isə onu ədəbsizlikdə qınamışdı. Bu şəkillər Qırğızıstan sərhədlərindən kənarda da diqqətə səbəb olub və Avropaya qədər bir çox ölkələrin qəzet və saytlarında dərc olunub. Əksəriyyət onun tabuları qıraraq etdiyi bu hərəkəti təqdirə layiq bilib. Əmizdirmək sualı bir çox ölkələrdə ictimai müzakirələrə səbəb olub və olmaqda davam edir. Üç il öncə Londonun Claridges Hotelində övladını əmizdirən anadan sinəsini örtməsi istənmişdi və hadisə, Britaniyada qalmaqal yaratmışdı. May ayında Avstraliya parlamentində övladını əmizdirən keçmiş senator Larissa Waters də tarixə düşüb BBC-n müxtəlif dilli xidmətləri Aliyə Şaqiyevadan müsahibə aldıqdan sonra, müsəlman ölkələrində əmizdirmənin müxtəlif mədəniyyətləri də üzə çıxıb. İranlı qadınlar ictimai yerlərdə övladlarını əmizdirərkən yaşadıqları stressdən yazıblar. \"İnsanların gözü mənə dikilir, ya nə iləsə özümü örtməli, ya da uşağımı ac qoymalıyam,\" Tehrandan bir ana göndərib. Bəziləri isə Tehran metrosunda yenicə yaradılan ana və körpə otaqlarını tərifləyiblər. Tehran metro stansiyasının bir işçisi stansiyadakı ana və körpə otağının şəkilini yollayıb Kabuldan olan əfqanıstanlı Zərifə Qafari, öz ailəsindəki hadisələri bölüşüb. O deyib ki, analar övladlarını əmizdirmək üçün başqa otaqlara keçməli olurlar. \"Onlar bunu başqalarının qarşısında edə bilməzlər. Əks halda, ailənin yaşlı üzvlərinin kəskin reaksiyası ilə üzləşirlər. Bu böyük bir problemdir, amma, yavaş-yavaş mədəniyyət dəyişir.\" Naqin adlı başqa bir əfqanıstanlı qadın, baldızı ilə bazarlıqda yaşadığı hadisədən söz açıb. \"O, övladını dükanda əmizdirə bilsin deyə biz oradan bazarlıq etməli olduq. O, oturdu və üzərinə böyük bir şərf atdı.\" Bir türkiyəli Facebook istifadəçisi isə bildirib ki, övladını əmizdirərkən üzərini örtməyə özü üstünlük verir. \"Mən bunu insanların gözünə soxmaq istəmirəm. Örtükdən istifadə edirəm. Döşlərə seksuallıq əlaməti kimi baxan insanların sayı hələ də çoxdur.\" Toronto universitetinin qadınlar və cinsiyyət üzrə eksperti Victoria Təhmasibi belə bir tweet paylaşıb: \"Kapitalist nöqteyi-nəzərindən seksuallaşdırılan qadın döşlərinə, qazanc yeri kimi baxmaq olar. İctimai yerlərdə uşaq əmizdirmək qadının döşlərini daha az seksual göstərir, buna görə də düşüncə qəbuledilməzdir.\" Aliyə Şaqiyeva isə valideynlərinin narahatçılığından sonra, şəkili hesabından silib. Valideynləri bunun onun \"gənc ailəsinə xələl gətirəcəyindən\" nigaran olublar. Ancaq, bu onun fikrini dəyişmədiyi kimi müzakirələri də səngitməyib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47838954", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/magazine-47867071", "doc1": "ম্যাকেঞ্জি বেজোস এ সপ্তাহেও সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে। অনলাইনে পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি তাদের ডিভোর্সের কিছু শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ম্যাকেঞ্জি বেজোস পাবেন আমাজনের ৪% সম্পদ। ফলে তার অর্থ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। সেই হিসেবে তিনি হবেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী নারী এবং নারী পুরুষ মিলিয়ে ২৪তম ধনী ব্যক্তি। তাহলে বিশ্বের ধনী নারীদের তালিকায় কারা কারা আছেন এবং কীভাবে তারা এতো অর্থ বিত্তের মালিক হলেন? ১. ফ্রাঁসোয়াস বেটাকোর মেয়ার ফ্রাঁসোয়াস বেটাকোর মেয়ার তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেব অনুসারে তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার ১৫ নম্বরে। ফরাসী কসমেটিক কোম্পানি ল'রিয়েলের উত্তরাধিকারী তিনি। তিনি এবং তার পরিবার এই কোম্পানির ৩৩ শতাংশের মালিক। তার বয়স এখন ৬৫। সব সম্পদ তিনি পেয়েছেন তার মায়ের কাছ থেকে। তার মা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। এনিয়ে তারা দীর্ঘ বিরোধেও জড়িয়েছিলেন। মিজ বেটাকোর-মেয়ার একটি আইনি মামলা করেছিলেন যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তার মাকে আশেপাশের কিছু ব্যক্তি ব্যবহার করছে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর আগে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। তিনি একজন শিক্ষাবিদও। গ্রিক দেবতা এবং ইহুদি-খৃস্টান সম্পর্কের ওপরে তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২. এলিস ওয়ালটন এলিস ওয়ালটন তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থান ১৭ নম্বরে। তার বয়স এখন ৬৯। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সুপারমার্কেট ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের একমাত্র কন্যা তিনি। তিনি তার দুই ভাই থেকে একেবারেই আলাদা ধরনের মানুষ ছিলেন। পরিবারের ব্যবসা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। তিনি চিত্রকলার ওপর জোর দেন এবং ক্রিস্টাল ব্রিজেস মিউজিয়াম অফ আমেরিকান আর্টের চেয়ারম্যান হন। ৩. ম্যাকেঞ্জি বেজোস ম্যাকেঞ্জি বেজোস তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। এটা শুধু আমাজনের যতটুকু মালিকানা তিনি পাবেন তার আর্থিক মূল্য। মোট সম্পদের পরিমাণ এর চেয়েও আরো বেশি হবে। কতো বেশি সেটা জানতে আগামী ফোর্বস ম্যাগাজিনের দিকে চোখ রাখতে হবে। তার বয়স ৪৮। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে তিনি বিয়ে করেন ১৯৯৩ সালে। একটি হেজ ফান্ড কোম্পানিতে কাজ করার সময় তাদের পরিচয় হয়েছিল। তাদের চারটি সন্তান রয়েছে। আমাজনে যারা প্রথম চাকরি শুরু করেন তাদের একজন ছিলেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে। তিনি দুটো বহুল আলোচিত ফিকশন বই লিখেছেন। লেখক টনি মরিসনের কাছে লেখালেখির বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। টনি মরিসন বলেছেন, তিনি তার সেরা শিক্ষার্থীদের একজন। মিস বেজোস একটি এন্টি-বুলিং সংস্থাও গড়ে তুলেছেন। নাম বাইস্ট্যান্ডার রেভ্যুলুশন। এই সংস্থা থেকে ৪. জ্যাকুলিন মার্স জ্যাকুলিন মার্স তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার চারশো কোটি ডলার। বিশ্বের ধনী মানুষের তালিকায় তিনি আছেন ৩৩ নম্বরে। তার বয়স ৭৯। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কনফেকশনার মার্সের এক তৃতীয়াংশের মালিক তিনি। তার দাদা/নানা ফ্র্যাঙ্ক ১৯১১ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরিবারের এই ব্যবসায় তিনি কাজ করেছেন প্রায় ২০ বছর। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে তিনি পরিচিত অত্যন্ত দানশীল এক ব্যক্তি হিসেবে। ওয়াশিংটন ন্যাশনাল অপেরা, ন্যাশনাল আর্কাইভসহ আরো কিছু সংস্থার বোর্ড সদস্য তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে পোষা প্রাণীর জন্যে যারা খাবার তৈরি করে তাদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এই মার্স কোম্পানি। ৫. ইয়ান হুইয়ান তার মোট সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার দুশো কোটি ডলারেরও বেশি। চীনের সবচেয়ে ধনী মহিলা তিনি। আর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি ৪২ নম্বরে। তার বয়স এখন ৩৭। চীনে বাড়ি ঘরের ব্যবসা করে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের বেশিরভাগ অংশেরই মালিক তিনি। চীনে প্রপার্টি নির্মাণের যে ধুম লেগেছে তার পেছনে বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে এই কোম্পানির। এই কোম্পানির ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, সারা বিশ্বে যতোগুলো ডেভেলপার কোম্পানি আছে তার মধ্যে ২০১৬ সালের কান্ট্রি গার্ডেন ছিল তিন নম্বরে। ইয়ান হুইয়ান ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। কোম্পানিতে তার ৫৭% শেয়ারের বেশিরভাগই তিনি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন। ৬. সুজান ক্লাটেন সুজান ক্লাটেন তার সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার একশো কোটি ডলার। আর সারা বিশ্বে ধনীদের তালিকায় তিনি ৪৬ নম্বরে। তার বয়স ৫৬। জার্মান এই নারীর রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস ও গাড়ির ব্যবসা। রাসায়নিক কোম্পানি আলটানা এ জি-র ৫০% তিনি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে, তার পিতামাতা মারা যাওয়ার পর। বিএমডাব্লিউ গাড়ির ৫০ শতাংশেরও মালিকানা তার ও তার এক ভাই এর। পরে আটলান্টার একক মালিক হন তিনি। আরো কিছু কোম্পানিরও শেয়ার কিনে নেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে বায়ু শক্তি থেকে শুরু করে গ্রাফাইট উৎপাদনকারী কোম্পানিও রয়েছে। ৭. লরা পাওয়েল জবস লরা পাওয়েল জবস তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ন'শো কোটি ডলার। এবং সারা বিশ্বের ধনীদের মধ্যে তিনি ৫৪তম। তিনি সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের স্ত্রী। স্বামী মারা যাওয়ার পর অ্যাপল ও ডিজনির দুই হাজার কোটি ডলারের সম্পদের মালিক হন তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে। তার বয়স ৫৫। পরে তিনি তার কিছু অর্থ সাংবাদিকতার পেছনে বিনিয়োগ করেন। আটলান্টিক ম্যাগাজিনের একটি বড় অংশ কিনে নেন তিনি। এছাড়াও তিনি অলাভজনক প্রকাশনা মাদার জোন্স এবং প্রোপাবলিকাতেও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অভিবাসন ও শিক্ষা সংস্কারের মতো কিছু বিষয়েও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন কিছু প্রতিষ্ঠান। আরো পড়তে পারেন: পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' ৩ রোহিঙ্গা নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন: নেপথ্যে কী যে পোস্টারটি পাকিস্তানে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে", "doc2": "MacKenzie Bezos \"Amazon\" şirkəti səhmlərinin faizinə yiyələndi Ötən həftə Amazon şirkətinin qurucusu Jeff Bezos və arvadı MacKenzie ailə kapitalının necə bölüşdürülməsiylə bağlı razılığa gəldilər. MacKenzie Bezos Amazon-da 4 faizlik paya sahib olacaq. Bu, 35,6 milyard dolar deməkdir. Beləliklə, Forbes jurnalının versiyasına görə MacKenzie dünyanın ən varlı 24-cü adamı olacaq, qadınlar arasında isə üçüncü yeri tutacaq. Bəs, dünyanın ən varlı qadınları siyahısında kimlər var? Bu siyahıya onlar necə daxil olublar? 1. Françoise Bettencourt-Meyers Françoise Bettencourt-Meyers Sərvəti: 49,3 milyard dollar. Forbes jurnalının siyahısında 15-ci yerdədir. Françoise kimdir? Sərvəti ona anasından miras qalıb - Liliane Bettencourt L'Oreal parfümeriya və kosmetika şirkətinin sahibi olub. Hazırda Françoise şirkətdə 33 faiz paya sahibdir. Anasıyla onun münasibətləri heç də yaxşı olmayıb, hətta ana-bala 2007-ci ildə məhkəmədə çəkişiblər də. Françoise məhkəmədə iddia edib ki, anasının səhhəti getdikcə pisləşir və ətrafındakılar bundan istifadə edib maliyyə baxımından onu istismar edirlər. Onların əlaqələri Liliane Bettencourt-un ölümündən bir neçə il əvvəl bərpa olunub. 65 yaşlı Françoise həm də araşdırmaçılıq fəaliyyətiylə məşğuldur, yunan tanrıları və xristianlarla yəhudilər arasındakı əlaqələrlə bağlı bir neçə məqalə dərc etdirib. 2. Alice Walton Alice Walton Sərvəti: 44.4 milyard dollar. Ən varlı adamlar siyahısında 17-ci yerdədir. Alice kimdir? 69 yaşlı Alice Walton Walmart supermarketlər şəbəkəsinin sahibi Sam Waltonun yeganə qızıdır. İki qardaşından fərqli olaraq şirkətin idarəçiliyində iştirak etməyib, incəsənətlə məşğul olub. Arkanzas ştatının Bentonville şəhərindəki Amerika İncəsənəti Muzeyinin İdarə Şurasının sədridir. 3. MacKenzie Bezos Jeff və MacKenzie Bezos Sərvəti: 35,6 milyard dollar. Bu, onun sadəcə Amazon şirkətindəki payının dəyəridir. Bütün sərvətinin nə qədər olduğunu günlərin birində bizə Forbes deyəcək. MacKenzie Bezos kimdir? MacKenzienin 48 yaşı var. Jeff Bezos-la 1993-cü ildə evləniblər - hedc-fondda birlikdə çalışdıqları zamanlarda. Onların 4 uşağı var. Qızlıq soyadı Tuttle olan MacKenzie əslən Kaliforniyadandır, Amazon-un ilk işçilərindəndir. İki roman yazıb. Bundan başqa, o, zorakılığa qarşı mübarizə məqsədilə Bystander Revolution adlı qeyri-hökumət təşkilatı da yaradıb. 4. Jacqueline Mars Jacqueline Mars Sərvəti: 23,9 milyard dollar. Ən ən varlı adamlar siyahısında 33-cü yerdədir. Amma Bezos-ların boşanmasından sonra bir pillə geriləmiş ola bilər. Jacqueline kimdir? 79 yaşlı Jacqueline Mars Mars şirkətinə aid səhmlərin üçdə birinə sahibdir. Bir çox başqa şeylərlə yanaşı, bu şirkət həm də məşhur Mars şokoladlarını istehsal edir. \"Mars\" 1911-ci ildə Jacquelinein babası Frank Mars tərəfindən qurulub. Jacqueline şirkətdə 20 il işləyib və 2016-cı ilə qədər Direktorlar Şurasının üzvü olub. Hazırda o, xeyriyyəçiliklə məşğuldur, Washington Milli Operasının və Milli Arxivin direktorlar şuralarının üzvüdür. \"Mars\" ABŞ-ın ev heyvanları üçün yem istehsal edən ən böyük şirkətidir. 5. Yan Huiyan Sərvəti: 22,1 milyard dollar. Çinin ən varlı qadını, dünyanın 42-ci varlı adamıdır. Yan kimdir? Country Garden Holdings adlı tikinti və inkişaf şirkətinə aid aksiyaların böyük hissəsi ona məxsusdur. Şirkətin saytında yer alan məlumatlara görə, Country Garden Holdings böyüklüyünə görə tikinti şirkətləri arasında dünyada 3-cüdür. Yan Huiyan Ohayo Universitetində oxuyub. Şirkət səhmlərinin 57 faiz-i ona atasından miras qalıb. 6. Susanne Klatten Susanne Klatten Sərvəti: 21 milyard dollar. Ən varlı adamlar siyahısında 42-ci yerdədir. Susanne kimdir? 56 yaşlı Almaniya sakini əczaçılıq və avtomobil istehsalı şirkətlərindəki səhmləri sayəsində varlanıb. Valideynlərinin vəfatından sonra Altana AG kimya şirkətinə aid səhmlərin 50faiz-i ona miras qalıb. O və qardaşı BMW şirkətində də 50 faiz paya sahibdirlər. Sonralar Susanne Altana AG şirkətini bütünlüklə sahiblənib. Eyni zamanda, bir çox başqa şirkətlərin də səhmlərini alıb. 7) Laurene Powell Jobs Laurene Powell Jobs Sərvəti: 18,6 milyard dollar. Ən varlı adamlar siyahısında 54-cü yerdədir. Laurene kimdir? Apple şirkətinin qurucularından biri olan Steve Jobs-un arvadı. Ərinin ölümündən sonra Laurene və onun ailəsinə Apple və Disney şirkətlərindən 20 milyard dollarlıq sərvət miras qalıb. Bundan sonra 55 yaşlı Laurene jurnalistika sahəsinə investisiya qoyaraq Atlantic jurnalına aid səhmlərin böyük qismini alıb. Eyni zamanda, Mother Jones və ProPublica-ya da vəsait qoyub. Laurene təhsildə və miqrasiya qanunvericiliyində islahatlar üçün mübarizə aparan təşkilatlara da yardım edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42883769", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42874508", "doc1": "অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ব্যবহারের জন্য তৈরি একটি ফেসবুক অ্যাপ প্রত্যাহার করে নিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন একশো জনের বেশি শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাদের বক্তব্য, এটি দায়িত্বহীন একটি পদক্ষেপ,যা শিশুদের মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়াবে। কারণ এসব শিশুরা এখনো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়ে ডিজিটাল যন্ত্রপাতির অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, অনলাইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেই ওই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যে সফটওয়্যার হয়তো মৃত্যুর খবর দিতে পারবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় ঢাকায় গ্রেফতার বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন ব্যবহার বা ফেসবুক আসক্তি নিয়ে অভিভাবকরা কতটা সতর্ক? ঢাকার একজন অভিভাবক শিখা রহমান বলছেন, ''এখনকার বাচ্চারা এতটাই বেশি জানে যে, তাদের সাথে পুরোপুরি পেরে ওঠা যায় না। ওরা হয়তো মোবাইলে কিছু করছে বা দেখছে, যখনি আমি সেটা দেখতে যাই, সাথে সাথে বন্ধ করে দেয়। অথবা আমাকে গেম বের করে দেখায়। কিন্তু ও হয়তো অন্যকিছু দেখছিল, কিন্তু আমার তো সেটা বোঝার উপায় নেই। এ নিয়ে আমরা খুবই টেনশনে থাকি।'' তার দুইটি সন্তান রয়েছে। দুজনেরই মোবাইল ফোন রয়েছে। বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় ওয়াইফাই ব্যবহার করে তাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখন তারা দেখছেন, সন্তানরা ফেসবুকে বেশিরভাগ সময় পার করছে। ফেসবুকে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা কাদের সঙ্গে কথা বলছে, কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে, এটা অভিভাবকদের কতটা জানা থাকে? শিখা রহমান বলছেন, ''মা-বাবার কাছে তারা এসব কিছুই জানায় না। আগে যেমন কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে আমার কাছে টাকা চাইতো, কিন্তু এখন ইন্টারনেটে কথা বলছে, আমরা কিছুই জানি না।'' ঢাকার একজন অভিভাবক বলছেন, সন্তানরা এত বেশি সময় ইন্টারনেটে থাকে যে, তিনি উদ্বেগ বোধ করেন প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় তারা কি দেখছে, কি করছে, সেটিও তিনি পুরোপুরি বুঝতে পারেন না। তিনি বলছেন, ''আমার বাচ্চার ছোট বেলা থেকেই চোখ অনেক ভালো ছিল। কিন্তু তাকে মোবাইল কিনে দেয়ার পর থেকেই চোখ খারাপ হতে শুরু করেছে। এখন তার চোখে হাই পাওয়ারের চশমা।'' বাসায় একসময় ইন্টারনেট বন্ধও করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়ে সন্তানদের চাপে বাধ্য হয়ে আবার সংযোগ নিতে হয়েছে। তিনি বলছেন, ''তারা এমন করে যে, আর না নিয়েও পারিনি।'' ''না ঘুমিয়ে, না পড়ে সারাক্ষণই দেখা যায় মোবাইল নিয়ে পড়ে রয়েছে। খাওয়ার সময় ভাত মাখিয়ে খেতে পারে না। অথচ তাকে কম্পিউটারের সামনে না দিলে বা মোবাইল না দিলে হয়তো খেলই না, টেবিলে আসলোই না।'' ঢাকার এই অভিভাবক মনে করেন, যুগের সাথে তাল মেলাতে ইন্টারনেট, ফেসবুক ব্যবহার করতে না দিয়েও উপায় নেই। তাদের পড়াশোনার কাজেও লাগে। কিন্তু ন্তিনি বলছেন, ''ক্ষতিকর বিষয়গুলো এড়িয়ে তাদের যদি শুধুমাত্র ভালোটা দিতে পারতাম, তাহলে আমার অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু তার কোন উপায় আছে কিনা, তা আমি জানি না।'' বিবিসির এ রকম আরো খবর: ফেসবুকের শুদ্ধি অভিযান ও ‘লাইকের রাজা’ বৃত্তান্ত যেভাবে ছড়ায় সাংবাদিক ও পুলিশের বচসার ভিডিও 'কেন আমি ফেসবুকে ইচ্ছেমতো ছবি দিতে পারি না' ভারতে শহুরে তরুণদের বহু ফেসবুক ফ্রেন্ডই অচেনা", "doc2": "Keçirilmiş araşdırmalarda sosial media platformaların uşaqların sağlamlığına göstərdiyi təsir təhlil edilib. Mark Zuckerberg-ə ünvanlanmış açıq məktubda müraciət müəllifləri Messenger Kids adlı tətbiqi, azyaşlı uşaqları Facebook-dan istifadə etməyə şirnikləşdirən \"məsuliyyətsiz\" cəhd kimi qiymətləndiriblər. Ekspertlər hesab edir ki, uşaqlara sosial media şəbəkələrində hesab açılması vaxtından xeyli tez atılan addımdır. Facebook isə bildirib ki, sözügedən tətbiqin işlənib hazırlanmasında onlayn təhlükəsizliyi ekspertləri iştirak edib və bu addım sosial mediadan uşaqların istifadə etməsinə nəzarəti gücləndirməyə çağıran valideynlərin qayğılarını qarşılamaq məqsədi ilə atılıb. Facebook qeyd edib ki, Messenger Kids geniş istifadə olunan Messenger tətbiqinin sadələşdirilmiş və qapallı işləyən bir versiyasıdır: bu tətbiqdən istifadə etmək üçün valideynin icazəsi tələb olunur, tətbiqin işi nəticəsində isə toplanan məlumat reklam üçün istifadə olunmur. Uşaq ekspertlərinin məktubunda deyilir: \"Keçirilmiş tədqiqatların nəticələri göstərir ki, elektron cihazlardan aşırı istifadə uşaq və yeniyetmələr üçün zərərlidir\". \"Uşaqlar sosial mediada hesab açmağa hazır deyil, onlayn məkanda münasibətlərin mürəkkəbliyindən çox vaxt böyüklər belə baş aça bilmir, qalsın ki, uşaqlar\", - məktubda qeyd olunub. Buna cavab olaraq Facebook qeyd edib ki, \"yeni tətbiq 2017-ci ilin dekabr ayında istifadəyə veriləndən bəri valideynlər bildirir ki, Messenger Kids onlara uşaqları ilə əlaqədə olmağa kömək edir\". \"Misal üçün, geçə növbəsində işləyən və ya işə yollanan valideynlər uşaqlarının durumu haqqında vaxtında məlumat ala bilir\", - Facebook qeyd edib. Məktub müəllifləri isə hesab edir ki, bunun üçün Facebook-da uşaqlar üçün xüsusi tətbiq yaradılmasına ehtiyac yoxdur. \"Uşaqlar valideynlərilə əlaqəni valideynin Facebook-u, Skype tətbiqi və digər vasitələrlə də qura bilər. Nəhayət, valideyn uşağına zəng də edə bilər\", - məktubda deyilib. Sosial mediada vaxt keçirən uşaqların depressiyaya məruz qalmaq riski daha yüksəkdir. Məktub müəllifləri qeyd edir ki, \"sosial mediadan istifadə edən yeniyetmələr daha tez-tez depressiya keçirir, onlar həyatdan daha az razı olur, sosial mediadan istifadə edən 10-12 yaşında qızlar özlərindən, zahiri görünüşlərindən daha çox narazı olur, arıqlamaq üçün aclıq çəkməyyə daha meyilli olurlar.\" Məktubu imzalayanlar arasında \"Kommersiyadan azad uşaqlıq kampaniyası\" hərəkatı başda olmaqla uşaqların müdafiəsi ilə məşğul olan sıra qrupların adı var. Amerika Vətəndaş Azadlıqları İttifaqı və Amerika boyu valideynlər təşkilatı da bu məktuba imza atanlar arasındadır. Məktubu fərdlər də imzalayıb - onların arasında britaniyalı alim, baronessa Susan Greenfield-in də adı var. 2017-ci ilin noyabr ayında Britaniya höküməti sosial media şirkətləri və kompüter istehsalçıları ilə görüşərək onlardan azyaşlıların media platformalarına çıxışının, uşaqların kiberməkanda təhqir edilməsinin, uşaqların internetdə saatlarla vaxt keçirməsinin və bu kimi digər halların qarşısının alınması istiqamətində mümkün tədbirlərin görülməsi barədə düşünməyi xahiş edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45399274", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-45400825", "doc1": "ইন্দোনেশিয়ায় এক নারীকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের দৃশ্য: ফাইল ফটো তেরেঙ্গানু রাজ্যের শরিয়া হাইকোর্টে ২২ এবং ৩২ বছর বয়স্ক ওই দুই মুসলিম নারীর প্রত্যেককে ছয় বার করে বেত্রাঘাত করা হয়। স্থানীয় একটি সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছে যে ১০০-রও বেশি লোক এই বেত্রাঘাতের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে। মালয়েশিয়ার ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় উভয় ধরণের আইনেই সমকামিতা অবৈধ। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই রাজ্যে সমকামী যৌন সম্পর্কের অভিযোগে এটাই প্রথম দন্ডাদেশ এবং প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের ঘটনাও এটিই প্রথম। দন্ডিত দুই নারীর নাম প্রকাশ করা হয় নি। গত এপ্রিল মাসে তেরেঙ্গানুতে একটি গাড়ির ভেতর থেকে ইসলামি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাদের আটক করে। গত মাসে তারা ইসলামিক আইন ভাঙার দোষ স্বীকার করে, এবং তাদের ৮০০ মার্কিন ডলার সমমানের জরিমানা এবং বেত্রাঘাতের দন্ড দেয়া হয়। মানবাধিকার কর্মীরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উইমেন্স এইড অর্গানাইজেশন নামে একটি নারী সংগঠন বলেছে, গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের এ ঘটনায় তারা মর্মাহত। তারা বলেছে, দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌনক্রিয়া করে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত নয়, বেত্রাঘাতের দন্ড তো নয়ই। কিন্তু তেরেঙ্গানু রাজ্যের নির্বাহী কাউন্সিলের একজন সদস্য সাইফুল বাহরী মামাত এই শাস্তিকে সমর্থন করে বলেছেন, কাউকে নির্যাতন বা আহত করার জন্য এটা করা হয়নি, বরং প্রকাশ্য বেত্রাঘাতের উদ্দেশ্য হলো - যাতে সমাজ এ থেকে একটা শিক্ষা গ্রহণ করে।", "doc2": "Daha əvvəl İndoneziyada ictimai şəkildə şallaqlanmış qadın Terengganu sultanlığının Ali Şəriət Məhkəməsi 22 və 32 yaşlarında olan qadınların hər birini 6 dəfə şallaqlayıb, məlumatlarda deyilir. Rəsmilərin bildirdiyinə görə, bu, vilayətdə ilk eynicinsli cinsi münasibət ittihamıdır və eyni zamanda, ilk ictimai şallaqlamadır. Hüquq müdafiəçiləri hadisəyə sərt reaksiya verib. Homoseksual münasibətlər ölkədə həm dünyəvi, həm də dini qanunlarla qadağandır. Yerli xəbər saytı, The Star yazır ki, şallaqlanmaya 100-dən çox insan şahid olub. Terengganu sultanlığının Dövlət İcra Şurasının üzvü Satiful Bahri Mamat Reuters agentliyinə şərhində şallaq cəzasını müdafiə edib və bunun \"işgəncə və xəsarət\" xarakteri daşımadığını, cəzanın \"ictimaiyyətə dərs olsun deyə\" ictimai yerdə verildiyini deyib. \"Ağrıtmaq üçün deyil\" Adları açıqlanmayan iki qadın bu ilin aprel ayında islamçı icra məmurları tərəfindən ictimai meydanda avtomobildə saxlanıldıqdan sonra həbs edilib. Onlar keçən ay İslam qanunlarını pozmaqda günahlandırılıblar və şallaq və 800 dollar cərimə cəzasına məhkum ediliblər. The Star qəzeti yazır ki, İslam qanunlarına görə şallaqlanmaq cinayət törədərkən mülki qanunlara əsasən şallaqlanmaqdan fərqlidir. Bu, \"ağrıtmaq üçün deyil\". Malayziya mötədil müsəlman çoxluqlu ölkə kimi tanınsa da, son illərdə dini əhvalın yüksəldiyi görülür. Keçən ay malayziyalı nazir LGBT fəallarının rəsmlərini sərgidən yığışdırmağı tapşırmışdı. Malayziyada ikili qanun sistemi işləyir. Müsəlmanlar şəriət qanunlarına, yəni İslam qanunlarına tabedirlər. Digər dinə mənsub olanlar isə mülki qanunlara tabedirlər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51255750", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-51255352", "doc1": "উহানে যাওয়ার আগে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন একজন চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস এর আগেকার সার্স বা ইবোলা রোগের ভাইরাসের মতো নয়, এবং এটির মোকাবিলা করা কঠিন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক বলছেন, মানুষের দেহে এটি ঢোকার পর দু'সপ্তাহ পর্যন্ত কোন লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু তখনও এটা একজন থেকে আরেকজনে ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত ২০০০র লোক সংক্রমিত হয়েছে এবং ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা শিয়াওয়েই বলছেন, তাদের মনে হচ্ছে হচ্ছে যে ভাইরাসটির ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। কোন মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তার দেহে লক্ষণ দেখা দিতে দু'সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তার আগে কোন লোকই জানতে পারে না যে তার দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কিনা। কিন্তু সেই অবস্থাতেও তার সংস্পর্শে আসা অন্য লোকরা সংক্রমিত হতে পারে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার । উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়। আরো পড়তে পারেন: আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন পুলিশের নিলামে বিক্রি হলো ইয়াবা ভর্তি ট্রাক কীভাবে উৎখাত হয়েছিল ইরানের মোসাদ্দেক সরকার কারণ সার্স এবং ইবোলার মতো ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে লক্ষণ দেখা দেবার পরই কেবলমাত্র সে আরেকজনকে সংক্রমিত করতে পারতো। কিন্তু করোনাভাইরাস এদিক থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং স্পষ্টতই এ ভাইরাস মোকাবিলা করা অনেক বেশি কঠিন । যেখান থেকে এই ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়েছিল সেই উহান শহর এখন অবরুদ্ধ। রাস্তায় কোন ট্যাক্সি চলতেও দেখা যাচ্ছে না। যারা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইছেন তাদেরকে স্বেচ্ছাসেবকরা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চীনের অনেকগুলো শহর এবং চীনের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত লোক চিহ্নিত হয়েছে। উহানে স্বাস্থ্যরক্ষায় যোগ দিয়েছে চীনা সেনা সদস্যরা। এই দেশগুলো হচ্ছে জাপান, তাইওয়ান, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। জাপান সরকার ঘোষণা করেছে যে উহান শহরে থাকা জাপানি নাগরিকদের কেউ দেশে ফিরে যেতে চাইলে তাদেরকে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হবে। চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান শু ওয়েনবো বলছেন, বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং এর একটি টিকা তৈরির জন্য কাজ করছেন।", "doc2": "Çin: Nankin şəhərinə yollanan həkimlər ailə üzvləriylə sağollaşırlar Bu virusdan ölənlərin sayı 56 nəfərə çatıb. Səhiyyə naziri Ma Xiaowei-nin jurnalistlərə bildirdiyinə görə, virusun yayılma qabiliyyəti, görünür, güclənir. Bəzi Çin şəhərləri səyahət etmək istəyənlər üçün ciddi məhdudiyyətlər tətbiq edib. Epidemiyanın ilkin mənbəyi olan Hubey bölgəsinin Uhan şəhəri faktiki olaraq qapalı rejim vəziyyətinə keçirilib. Ma Xiaowei infeksiyaların \"qarçısının alınması prosesinin həlledici mərhələdə\" olduğunu söyləyib Rəsmilər virusun qarşısının alınması üçün səylərin gücləndiriləcəyinə söz verərək Çində bazar günündən başlayaraq bütün vəhşi heyvanların satışının qadağan ediləcəyini açıqlayıblar. Virusun əvvəlcə heyvanlarda əmələ gəldiyi düşünülsə də, insanlara keçdikdən sonra sürətlə yayılmışdır. İnsan bu virusa yoluxduqda, bir gündən 14 günədək çəkə bilən inkubasiya dövrü zamanı xəstəlik özünü bildirmir, lakin həmin insandan ətrafdakılar da bu xəstəliyə yoluxa bilərlər, rəsmilər hesab edir. Virusun inkubasiya dövrü zamanı insan infeksiyaya yoluxduğunu anlamaya bilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41874927", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-41876313", "doc1": "সদ্য গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানা যাচ্ছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সৌদি বিলিয়নিয়ার প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল রয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রিন্সের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা যায়নি। তবে, ইতিমধ্যেই তার মালিকানাধীন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কিংডম হোল্ডিংসের শেয়ারের মূল্য দশ শতাংশ পড়ে গেছে। সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জে দিনের শুরুতে ব্যবসায়িক লেনদেনে ধস নেমেছে। সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জ আরব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আরো পড়ুন: দুর্নীতি দমন অভিযানে সৌদি রাজপুত্র-মন্ত্রী আটক ইসলামিক স্টেটের বন্দী যোদ্ধাদের কি মেরে ফেলা হবে? সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, অভিযানের ভয়ে ব্যক্তিগত বিমান নিয়ে পালানোর সময় জেদ্দায় কয়েকটি জেটের উড্ডয়ন আটকে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জেটগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ধরপাকড়ের প্রতি সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এক টুইট বার্তায় বলেছে, দুর্নীতি দমন অভিযান সৌদি আরবের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মতই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুর্নীতি বিরোধী এই ধরপাকড় এবং দুজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেবার পর, সৌদি আরবের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একক কর্তৃত্ব সুসংহত হলো। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই কমিটির লক্ষ্য জনগণের জানমালের সুরক্ষা দেয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া। দুই সপ্তাহ আগে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কয়েক হাজার আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীকে নিয়ে রিয়াদে একটি বিনিয়োগ সম্মেলন করেন। সেখানে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরবের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে তাঁর পরিকল্পনার মূলমন্ত্র হবে ইসলামের কট্টর অবস্থান থেকে উদারনীতিতে ফিরে আসা। তেলের বাইরে সৌদি অর্থনীতির জন্য ভিন্ন এক ধরণের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার খোঁজে এই সম্মেলন করা হয়। কিন্তু 'হাই প্রোফাইল' লোকজনকে আটকের খবরে আর্থিক ব্যবস্থায় ধস নামতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। চলতি বছর জুনে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন নব গঠিত একটি দুর্নীতি দমন কমিটি দেশটির ১১জন প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে সৌদি ন্যাশনাল গার্ড এবং নৌবাহিনী প্রধানের পদেও করা হয়েছে রদবদল।", "doc2": "Saxlanılmalar, kral fərmanına uyğun olaraq vəliəhd Məhəmməd bin Salman başda olmaqla yeni komitə təsis olunduqdan bir neçə saat sonra keçirlib. Twitter və Apple şirkətlərinə investisiyalar yatırmış şahzadə Əl-Valid bin Talal saxlanılanlar arasındadır. Kral Salman milli qvardiya və donanmanın rəhbərlərini də dəyişdirib. Yeni antikorrupsiya komitəsinin həbslər keçirmək və ölkədən çıxmağı qadağan etmək səlahiyyəti var. Səudiyyənin yayım şirkəti Al-Arabiya bildirib ki, 2009-cu ildə Ciddə daşqını və 2012-ci ildə Səudiyyə Ərəbistanında Mers adlı virus epidemiyası ilə bağlı arşadırmalar aparılır. Lakin təhlilçilər son gedişləri vəliəhdin öz hakimiyyətini möhkəmlətmək niyyəti kimi yozurlar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48134543", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-48110178", "doc1": "ড্যাফ্‌নে কারুয়ানা গালিৎসিয়া আমাদের পরিবার প্রথম এই লোকটির মুখোমুখি হয়েছিল ছয় বছর আগে, যখন তিনি এসেছিলেন মাকে গ্রেফতার করতে। দেশে যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক ব্লগ পোস্ট করেছিলেন আমার মা। এরপর সেই ব্যক্তির একজন সমর্থক পুলিশের কাছে একটা রিপোর্ট করে। ফলে, মাঝরাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আমাদের পারিবারিক বাসভবনে একজন ডিটেকটিভ আসেন। আমার মায়ের অপরাধ ছিল 'বেআইনি মতপ্রকাশ।' সে সময় আমি কাজের সূত্রে ছিলাম পৃথিবীর আরেক প্রান্তে । কয়েকজন আমাকে ভিডিও পাঠালো - যাতে দেখলাম রাত দেড়টায় আমার মাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, তাঁর পরনে আমার বাবার একটা শার্ট। কয়েক ঘণ্টা পর তিনি অনলাইনে এলেন। তাঁর ওপর এই উৎপীড়নের কথা লিখলেন তাঁর ওয়েবসাইটে। সেখানে কিছু বিদ্রূপ ছিল, নিজেকে কেমন দেখাচ্ছিল তা নিয়ে - এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাহীনতার বোধ নিয়ে। তিন কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী রয়েছে? \"আমাকে যেমন দেখা যাচ্ছে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু যদি আপনার বাড়িতে রাতের বেলা হোমিসাইড স্কোয়াডের পুলিশ এসে হাজির হয়, তখন কি আর চুল আঁচড়ানো, পাউডার-ব্লাশার লাগানো আর ভালো কাপড় পরার কথা খেয়াল থাকে?\" - লিখেছিলেন তিনি। নিয়তির লিখন হলো: যে ডিটেকটিভ সেদিন রাতে আমার মাকে গ্রেফতার করেছিলেন, তাকেই তাঁর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মা ড্যাফনের সাথে শিশু ম্যাথিউ আমার মা ড্যাফ্‌নে কারুয়ানা গালিৎসিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি সরকারের একজন মন্ত্রীর অনুরোধে ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছিল। যেদিন তিনি খুন হন, সেদিন তিনি তাঁর অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যাংকে যাচ্ছিলেন নিজে গাড়ি চালিয়ে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫৩ - এবং তাঁর ৩০ বছরের সাংবাদিক জীবনের শীর্ষবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তাঁর গাড়ির সিটের নিচে পেতে রাখা হয়েছিল আধা কেজি টিএনটি দিয়ে তৈরি একটি বোমা। দূরনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেটির। সরকারের সমর্থকরা এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আনন্দ-উল্লাস করেছিল। তা দেখে আমার মনে পড়ে গিয়েছিল তুর্কি-আরমেনিয়ান পত্রিকা সম্পাদক হ্র্যান্ট ডিংককে গুলি করে হত্যার ঘটনার কথা। কেউ কেউ এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে আমি নিজেই নাকি আমার মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলাম, অথবা আমার মা নিজে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলি - যাকে সিরিয়ায় অপহরণ ও শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল - তাঁর সম্পর্কেও একই রকম কথা বলা হয়েছিল। ড্যাফ্‌নে কারুয়ানা গালিৎসিয়া হত্যাকান্ড * অক্টোবর ২০১৭: অনুসন্ধানী সাংবাদিক ড্যাফ্‌নে কারুয়ানা গালিৎসিয়া এক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত। * প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মুসকাট এই হত্যাকান্ডকে বর্বর বলে অভিহিত করেন, তবে সাংবাদিকের পরিবার তাঁর শেষকৃত্যে মাল্টার নেতাদের আগমন নিষিদ্ধ করে। * জুলাই ২০১৮: মাল্টার সরকারের গঠিত এক তদন্ত কমিটি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীকে ড্যাফনের আনা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। * অগাস্ট ২০১৮: মাল্টা কর্তৃপক্ষ ড্যাফনের মৃত্যু ঠেকাতে পারতো কিনা, তার পূর্ণ সরকারি তদন্তের দাবি জানায় নিহতের পরিবার। এই হত্যাকাণ্ডগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? এই মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের এক সভায় আমার ভাই বলেছিল, \"তথ্য ও মতামতের অবাধ প্রবাহ, সাংবাদিকের কাজ এমন সমাজ তৈরি করে, যা অধিকতর অবাধ ও সুষ্ঠু।\" এটা এমন সমাজ তৈরি করে, যারা অধিকতর সমৃদ্ধ এবং টেকসই - অন্য কথায় এমন এক সমাজ, যা সত্যি বাসযোগ্য।\" আমাদের মায়ের হত্যাকাণ্ডের পর আমাদের জীবনে একমাত্র আলোর উৎস ছিল সর্বস্তরের জনগণের দিক থেকে অভূতপূর্ব সমর্থন, দুঃখপ্রকাশ ও সহমর্মিতা। এটা আমাকে বিস্মিত করেছিল। আমার এক বন্ধুর মুখে অনেকদিন আগে শোনা একটা কথা মনে পড়ে গিয়েছিল: 'ভালো মানুষেরা সর্বত্রই আছে, তোমাকে শুধু তাদের খুঁজে পেতে হবে।' একটা অবাধ ও মুক্ত সমাজ - যেখানে আইন সবার জন্য সমান, যেখানে মানবাধিকারকে সম্মান করা হয় - তেমন একটা সমাজে বসবাস করার ইচ্ছা মানুষের সার্বজনীন। কিন্তু সব ইচ্ছার মতোই এর ভালো-মন্দ দু'টো দিকই আছে। আমরা যখন বুঝতে পারি যে মানুষের মধ্যে রোগ-ব্যাধির মতোই এমন কিছু খারাপ লোক আছে ও থাকবে - এবং সেই লোকেরা ক্ষমতা পেয়ে গেছে - তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আমার ভাইয়েরা, আমাদের বাবা এবং আমি নিজে একটা মিশন নিয়ে নেমেছি। এটা একটা বিরাট জিনিস। তা হলো: আমার মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এটা নিশ্চিত করা যেন এমনটা আর কখনো না ঘটে। এখন আমাদের আর কিছু করার মতো সময় নেই। মায়ের ছবি হাতে ম্যাথিউ (বামে) এবং তার ভাই পল নিষ্ক্রিয়তা এবং নির্বিকারত্বের ব্যাপারে আমাদের ধৈর্য যে কত কমে গেছে, তা নিয়ে আমার পরিবারের মধ্যে মাঝে মাঝে কথা হয়। বিশেষ করে যারা ক্ষমতাবান পদগুলোতে বসে আছে, তাদের নিয়ে। তাদের মানসিকতা এবং নিষ্ক্রিয়তাকে আক্রমণ না করে বসে থাকাটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। তুরস্কের অনুসন্ধানী সাংবাদিক উগুর মামচুর ছেলেমেয়েরা আমাদের বলেছিলেন, তাদের পিতাকে যখন এক গাড়ি বোমা আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করা হয়, তখন পুলিশের প্রধান বলেছিলেন কেন তারা তদন্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। \"আমরা কিছু করতে পারছি না, আমাদের সামনে একটা ইঁটের দেয়াল তুলে রাখা হয়েছে\" -এই ছিল তাঁর কথা। তাদের মা জবাব দিয়েছিলেন, \"তাহলে ইঁটগুলো সরান, একটা একটা করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরো দেয়ালটা নিশ্চিহ্ন হয়।\" আমাদের মা খুন হবার পর থেকে আমরা সেটাই করে চলেছি। বাংলাদেশের মিডিয়ায় 'সেলফ সেন্সরশিপের' অভিযোগ শুরুতে আমাদের নীতি ছিল, আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করা - পরিণতি যাই হোক না কেন। আমি এখন মনে করি এই প্রক্রিয়াটা আমাদের লক্ষ্যের প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে বাধ্য করছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি আরো বেশি করে সম্মানবোধ তৈরি করছি - শুধুমাত্র রাষ্ট্রকে তার কর্তব্য পালন করা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাধ্য করে। অন্য যারা 'স্বাধীনতাহীনতার' রোগ দূর করার জন্য কাজ করছে, মানবাধিকারের জন্য বিশ্বকে একটা নতুন সম্মানবোধ শিক্ষা দিচ্ছে, আমরা তাদের সাথে যোগ দিয়েছি। মাল্টার সাংবাদিক ড্যফ্‌নে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মিছিল \"বিবেকের স্বাধীনতা থেকেই স্বাধীনতার শুরু\" - মালদ্বীপের লেখক ইয়ামিন রাশিদ আমাদের এ কথা বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে। তাঁর বাড়ির বাইরে ২০১৭ সালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। \"মানুষের মনের যে মৌলিক স্বাধীনতা - তাই যদি না থাকে, তাহলে অন্য স্বাধীনতা দিয়ে আপনি কি করবেন?\" আমার মায়ের হত্যাকাণ্ডের মতোই তাঁর হত্যার ভেতর দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে আমাদের দেশগুলোতে সেই সব স্বাধীনতার প্রতি কোন সম্মানবোধ নেই। স্বাধীনতার এ লড়াই শুধু আমাদের স্বজনদের ব্যাপার নয়, যারা নিহত এবং বন্দী সাংবাদিক, তাদের পরিবারের সদস্য, ছেলেবন্ধু, মেয়েবন্ধু, বন্ধু - সবারই। এই মহান দায়িত্ব আমাদের কাঁধে পড়েছে, কিন্তু শুধু আমরাই এটা বহন করতে সক্ষম নই। যেখানে যত ভালো মানুষেরা আছেন, তাদের সবার আমাদের সাথে যোগ দেয়া দরকার। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস * বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের সূচনা করেছিল জাতিসংঘ, ১৯৯৩ সালে। প্রতি বছর মে মাসের ৩ তারিখে দিনটি পালিত হয়। * এ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই দিবসের মূল বার্তা হচ্ছে 'অপ্রচারের যুগে সাংবাদিকতা ও নির্বাচন'। * এই দিনটির লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে উদযাপন করা, এবং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে সাংবাদিকরা মারা গেছেন - তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। * গত বছর বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জন সাংবাদিক এবং মিডিয়াকর্মীর - আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফেডারেশনের তথ্য মতে, যারা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বোমা হামলা বা ক্রসফায়ারের ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমি জানি এরকম আরও অনেকে আছেন। স্মরণ করুন সৌদি কলামিস্ট জামাল খাসোগজির কথা - যাকে সর্বত্র মানুষ ভালোবাসতো। শুধু একজন লোক তাকে এতটাই ঘৃণা করতেন যে তাকে হত্যা করানো হয়েছে। আমার মায়ের খুনসহ সকল হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেই দোষী ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার জন্য রাষ্ট্র কোন অর্থপূর্ণ প্রয়াস নিচ্ছে - এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে খুব কম । সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি, যাকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয় ফলে আমরা প্রথম ইঁটটি সরানোর মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি। আমরা দাবি করেছি যে মাল্টাকে একটা সরকারি তদন্ত শুরু করতে হবে। এর লক্ষ্য হতে হবে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ড ঠেকানোর চেষ্টায় কোথায় গোলমাল হয়েছিল, তা খুঁজে বের করা। এর পর আমরা দ্বিতীয় ইঁটটি সরাবো। সৌদি আরবে জামাল খাসোগজি হত্যার বিচার শুরু প্রতিদিনই আমার মনে হয়, যদি আমার মাকে দেশের জন্য কখনো এই ত্যাগ স্বীকার করতে না হতো, যদি তিনি আজ জীবিত থাকতেন! তবে আজেরি সাংবাদিক খাদিজা ইসমাইলোভার কথা মনে করুন, যাকে কারাবন্দী করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তিনি বলেছিলেন, \"আমরা যদি সত্যি ভালোবাসি, তাহলে আমরা চাইবো যেন আমাদের প্রিয়জনেরা যে যেমন চায়, তেমনিভাবে বেড়ে উঠতে পারে।\" ড্যাফ্‌নে হচ্ছেন সেই মানুষ - একজন যোদ্ধা, একজন বীর। আমার মা কখনো জানবেন না যে তাঁর মৃত্যু কিভাবে মাল্টা এবং অন্যত্র হাজার হাজার মানুষকে বীর হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি ভাবতে চাই যে তাদের প্রতিটি বীরত্বই কোন না কোনভাবে অন্য সাহসী সাংবাদিকদের রক্ষা করেছে - যাতে তাদের আমার মায়ের মতো পরিণতি বরণ করতে না হয়। লেখক সম্পর্কে: ম্যাথিউস কারুয়ানা গালিৎসিয়া একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং ২০১৭ সালে গাড়ি বোমায় নিহত সাংবাদিক ড্যাফ্‌নে কারুয়ানা গালিৎসিয়ার পুত্র। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ৫টি ঘূর্ণিঝড় মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন ঘূর্ণিঝড়ের ফণী নামটি কোথা থেকে এলো?", "doc2": "Daphne Caruana Galizia rəsmi səviyyədə korrupsiya halları barədə kəskin reportajlar dərc etdirib. Ailəmiz onunla ilk dəfə altı il bundan əvvəl üz-üzə gəlib. O zaman o, anamı həbs etməyə gəlmişdi. Mənim anam seçki günü Baş nazir vəzifəsinə bir namizəd barədə satirik bloq post dərc etmişdi və həmin namizədin tərəfdarlarından biri bu barədə polisə raport yazmışdı. Müstəntiq evimizə gecəyarısı, əlində anamın qeyri-qanuni ifadəsi ittihamı əsasında cinyaətə görə yazılmış həbs orderilə gəlmişdi. O zaman mən dünyanın başqa bir küncündə idim və insanlar mənə onun polis məntəqəsindən 01:30-da azadlığa buraxılmasını göstərən videolar göndərirdi. Bir neçə saatdan sonra anam öz internet səhifəsində təhqirli rəftara məruz qaldığından yazmışdı. İndi isə onu həbs edən həmin o gecə onu həbs etmiş müstəntiqə anamın qətlinin araşdırılmasl tapşırılıb. Matthew uşaqlıqda və onun anası Daphne Qətlə yetirildiyi gün mənim anam Daphne Caruana Galizia avtomobilində banka yollanırdı - bank hesabını bərpa etmək üçün. Onun hesabı hökümət nazirinin tələbi ilə həbs olunmuşdu. Anamın təzəcə 53 yaşı tamam olmuşdu və o, 30 illik jurnalist karyerasının zirvəsində idi. Avtomobildə onun oturacağının altına quraşdırılmış partlayıcı qurğu məsafədən idarə olunaraq işə salınmışdı. Hökümət tərəfdarları onun qətlə yetirilməsini açıq şəkildə bayram edirdilər və bu mənə Türkiyədə erməni qəzetinin redaktoru Hrant Dinkin qətlini bayram edənləri xatırlatdı. Digərləri eyham vururdular ki, güya mən intihar etməyə hazırlaşıram və ya guya ki, mənim anam həyatını risk altına qoymağı sevirdi. Eyni böhtan Suriyada oğurlanıb başı kəsilmiş ABŞ müxbiri James Foley haqqında da deyilirdi. Daphne Caruana Galizia-nın qətli Bu qətl hadisəsinə niyə bu qədər diqqət verilir? \"Faktların və rəylərin azad paylaşması, jurnalistlərin təcrübəsi və bacarığı daha azad və ədalətli cəmiyyətin formalaşmasına kömək edir\", - qardaşım Avropa diplomatları ilə görüşdə bildirmişdi. O zaman ana itkisinin ağrısı bizdən hələ çəkilməmişdi. Anamın qətlindən sonra bizə müxtəlif təbəqələrdən olan insanlar dəstək, canıyananlıq, həmrəylik bildirirdi. Bu mənim üçün gözlənilməz idi və o zaman bir dostumun dediyi yadıma düşdü: \"Yaxşı adamlar hər yerdə var; axtaranda tapırsan\". Qanunun qarşısında hamının bərabər olduğu və insan hüquqlarına hörmət edildiyi azad və açıq bir cəmiyyətdə yaşamağı hər kəs arzulayır. Amma iş burasındadır ki, bir ovuc pis insanların bizə hökmranlıq etdiyini çox gec anlayırıq. Anamızın qətlindən sonra qarşımıza qoyduğumuz vəzifə çox böyükdür - onun qətlinin ədalətli istintaqı və ədalətli qərarın çıxarılmasına nail olmaq, belə halların bir daha təkrarlanmayacağını təmin etmək. Başqa işlər üçün isə çox az vaxt qalır. Matthew (solda) və onun qardaşı Paul anaları üçün ədalət uğrunda kampaniya aparırlar Ailəmiz daxilində biz bəzən başqalarının, xüsusilə də, hakimiyyətdə olanların hərəkətsziliyindən və etinadsızlığından gileylənirik. Onların tənbəlliyi və üzüqırmızılığı bizi qəzəbləndirməyə bilməz. Qətlə yetirilmiş Türkiyəli araşdırmaçı jurnalist Uğur Mumcunun uşaqları mənə demişdilər ki, onların atası avtomobil partlayışı nəticəsində öldürüldükdən sonra polis istintiqın nəticə vermədiyini belə bir şərh ilə izah etmişıdi: \"Biz nə edə bilərik, daş divara dirənmişik\". Onların anası isə buna belə cavab vermişdi: \"Həmin divardakı daşları bir-bir sökün, bütün divar yox olanadək\". Bizim anamız qətlə yetirildikdən sonra biz məhz bu işlə məşğuluq. Biz əlimizdən gələni etməyə çalışırıq və mən indi düşünürəm ki, prosesin özü də son məqsəd qədər vacibdir. Biz mədəniyyətə dəyişiklik gətiririk, dövləti öz öhdəliyini yerinə yetirməyə və ədaləti təmin etməyə məcbur etməklə azad ifadəyə daha böyük hörmət mühiti yaradırıq. Biz dünyanı insan haqlarına hörmətlə yanaşmağı öytrətməyə və \"azadsızlıq\" xəstəliyindən sağaltmağa çalışan insanlara qoşulmuşuq. Qətlə yetirilmiş maltalı jurnalist Daphne Caruana Galizia üçün ədalət tələbi ilə keçirilən etiraz aksiyası \"Azadlıq vicdan azadlığından başlayır. Vicdan azadlığı olmadan başqa azadlıqlardan necə faydalanmaq olar?\" - cümləsini bizə deyəndən beş gün sonra yazıçı Yamin Rəşid 2017-ci ildə Maldivdəki evinin qarşısında bıçaqlanaraq öldürüldü. Mənim anamın qətli kimi, onun da qətli aşkar etdi ki, bizim ölkələrimizdə bu azadlıqlara hörmət göstərilmir. Öldürülənlərin doğmaları, yaxınları, dost-tanışları üçün azadlıq uğrunda mübarzəni aparmaq olduqca ağır bir vəzifə və məsuliyyətdir. Bu mübarizəmizə digər insanların da qoşulmasına ehtiyacımız var. Ümumdünya Mətbuat Azadlığı Günü Bilirəm ki, biz çoxuq. Səudiyyəli jurnalist Camal Kaşıkçını (Jamal Khashoggi) insanlar sevirdi. Ona yalnız bir şəxs nifrət edirdi və həmin şəxsin nifrəti onun öldürülməsi üçün kifayət idi. Anamın da qətli daxil olaraq, bütün bu qətllərdə ümumi olan cəhət odur ki, dövlət bu hadisələrə görə cavabdeh olanların ittiham edilməsi üçün ciddi bir səy göstərmir. Səudiyyəli jurnalist Camal Kaşıkçını (Jamal Khashoggi) insanlar sevirdi 2018-ci ilin oktyabrında qətlə yetirilib. Bizim ilk addımımız icitimai istintaq tələbi oldu - aydınlaşdıraq görək ki, aparıcı jurnalistin qətlə yetirilməsinin qarşısı nə səbəbdən alınmayıb. Bundan sonra biz qaşımızda duran divarın növbəti daşını sökməyə çalışacağıq. Mən istəyərdim ki, özünü qurban verməkdənsə, anam indi sağ olardı. Lakin həbs altında saxlanması insan haqları qrupları tərəfindən \"amansız\" kimi təsvir edilən Azərbaycan jurnalisti Xədicə İsmaylovanın dediyi kimi: \"Biz əzizlərimizi həqiqətən seviriksə, onların olduğu kimi olmasını istəyirik. Və Daphne məhz belə bir insan idi - mübariz və qəhrəman\". Mənim anamın ölümü Maltada və onun xaricində minlərlə insanı qəhrəmanlığa ilhamlandırıb. Mən inanmaq istərdim ki, bu qəhrəmnalıq aktlarından hər biri cəsur jurnalistləri mənim anamın taleyini təkrarlamaqdan qoruyacaq. Matthew Caruana Galizia araşdırmaçı jurnalist və 2017-ci ilin oktyabrında avomobilində partladılmış Daphne Caruana Galizia-nın oğludur."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48864049", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47928416", "doc1": "ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই তিনটি প্ল্যাটফর্মই ফেসবুকের মালিকানাধীন। ফেসবুক জানিয়েছে, এই সমস্যাটি সারিয়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক বিলিয়ন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ছবি আপ করতে না পারার এই ভোগান্তির কথা প্রকাশ করতে গিয়ে কোনো-কোনো ব্যবহারকারী প্রতিন্দ্বন্দ্বী সাইট টুইটারকে বেছে নিয়েছেন। টুইটারে তারা হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখছেন #ফেসবুকডাউন #ইনস্টাগ্রামডাউন #হোয়াটসঅ্যাপডাউন। গত মার্চ মাসেও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীরা দীর্ঘসময় ধরে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কোন দেশ কী করছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটে ফেসবুক, যা জানা যাচ্ছে জাকারবার্গের ফেক ভিডিও তুলে নিবে না ফেসবুক এরপরে আবার এপ্রিল মাসেও সমস্যা দেখা দেয়। এপ্রিল মাসে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সাথে হোয়াটসঅ্যাপেও ঝামেলা দেখা দেয়। ফেসবুকে প্রতিমাসে ২.৩ বিলিয়নের বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকে। আর ইনস্টাগ্রামে প্রতিমাসে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন। ফেসবুকের যে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ রয়েছে সেটি আলাদাভাবে ইন্সটল করতে হয়। কিন্তু নতুন যে সংকট দেখা দিয়েছে এর প্রভাব পড়েছে ফেসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপেও।", "doc2": "Down Detector vebsaytı bildirib ki, dünya boyu minlərlə adam Bakı vaxtı ilə 14:30-dan başlayaraq Facebook, Instagram və WhatsApp xidmətləri işləmədiyinə görə şikayət ediblər. Facebook-da istifadəçilərə sistemdən \"Nəsə düz olmayıb\" mesajı verilib. Saat 17:50-də (Bakı vaxtı) Facebook bildirib ki, tətbiqləri işlədərkən bəzi istifadəçilərin üzlədiyi problem həll olunub. Şirkətin sözçüsü əlavə edib: \"Hər hansı bir narahatçılığa görə üzr istəyirik.\" Facebook problemin səbəbləri və nasazlığın təsirinə məruz qalmış istifadəçilərin sayı barədə heç bir şərh verməyib. Mart ayında Facebook-un işində ən uzunmüddətli pozuntu baş vermişdi - o zaman dünya boyu istifadəçilər Facebook, Instagram və WhatsApp-dan 24 saat ərzində istifadə edə bilməmişdilər."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46688013", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-46688212", "doc1": "গুগল বলছে তারা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী যাদের সঙ্গে কথা বলেছে তাদের মধ্যে ৭০% চায় প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও গ্রহণযোগ্য একটা ভারসাম্য। কিন্তু সেটা প্রযুক্তি খাতের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রযুক্তি সংস্থগুলো কীভাবে তাদের খদ্দেরদের বলবে আপনি সবসময় ফোন ব্যবহার করবেন না! যেখানে তাদের এবং তারা যাদের সঙ্গে ব্যবসা করে তারা চায় ঠিক উল্টোটা। অর্থাৎ আপনি বেশি বেশি ফোন ব্যবহার করুন। অ্যাপেল আর গুগল দুটি কোম্পানিই এবছর নতুন ডিজিটাল হাতিয়ার চালু করেছে। একটার নাম স্ক্রিন টাইম আর অন্যটার নাম ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং। এগুলো ব্যবহার করলে আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দেখতে পাবেন তারা বিভিন্ন অ্যাপে কতটা সময় কাটাচ্ছেন এবং কতবার তারা ফোন হাতে তুলে নিচ্ছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? আপনার মোবাইল কি গোয়েন্দাগিরি করছে? স্ক্রিন থেকে কীভাবে শিশুর চোখ ফেরানো যাবে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরুণরাই শুধু নন প্রায় সব বয়সের মানুষই স্মার্ট ফোনে সময় কাটাচ্ছেন খুব বেশি। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী অবশ্য এখনও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না কারণ এটা অ্যান্ড্রয়েড পাই অপারেটিং সিস্টেমের অংশ। যা মাত্র গুটিকয় ফোননির্মাতার কাছে দেয়া হয়েছে। যারা এটি দেখেছেন তারা বলছেন এর মাধ্যমে দেয়া তথ্য রীতিমত চমকে দেবার মত। আমি যেদিন প্রথমবার এই টুল ব্যবহার করি সেদিন অ্যান্ড্রয়েডের ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং প্রযুক্তি আমাকে জানায় যে আমি সেদিন আমার ফোন ২০০ বার 'আনলক' করেছি এবং ফোনে তিন ঘন্টা সময় কাটিয়েছি। যে তথ্য দেখে আমি কিন্তু রীতিমত উদ্বিগ্ন। রোজ লা প্রায়েরি লণ্ডনে কাজ করেন গুগলের প্রকৌশলী হিসাবে। এবং যারা এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে তিনি তাদের দলে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন বড় বড় ফোন কোম্পানিগুলো ভালভাবেই জানে এই তথ্য প্রথমবার দেখলে মানুষ ঘাবড়ে গিয়ে হয় \"অপরাধ-বোধ নয় লজ্জা\" অনুভব করবে। কাজেই তাদের জন্য যেটা জরুরি সেটা হল ব্যবহারকারীর আচরণের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে এমনটা যেন তিনি মনে না করেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং তথ্য সংকলনের বিষয়টা নিয়ে গবেষণার কাজ করেছেন রোজ লা প্রায়েরি। তিনি বলছেন, \"আমরা চাই না বড় আকারের লাল তীরচিহ্ণ বা বড় আকারের সবুজ তীরচিহ্ণ তৈরি করতে। আর সেগুলো দিয়ে মানুষের আচরণ যেন আমরা ব্যাখ্যা না করি বা কোন্‌টা ভাল - কোন্‌টা মন্দ তার মূল্যায়ন না করি।\" \"কারণ আমার জন্য যেটা ভাল, আরেকজনের জন্য সেটা ভাল নাও হতে পারে।\" মিস্ লা প্রায়েরি বলছেন, আসল কথাটা হল ফোন ব্যবহারকারীদের তথ্যটা জানানো যাতে তারা নিজেরাই ভাল মন্দ বিবেচনা করে ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। \"অনেকের জন্য এই তথ্যটা জানতে পারাই বড় কথা,\" বলছেন মিস লা প্রায়েরি, \"এই তথ্যের ওপর নির্ভর করে তারা ঠিক করতে পারবেন কতটা সময় তারা ফোনে কাটাবেন।\" কিন্তু এটা অবশ্যই গুগলের ব্যবসায়িক স্বার্থের পরিপন্থী হবে। তারা কি চাইবে আপনি ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন? 'আনন্দময় অভিজ্ঞতা' অ্যাপেলের ব্যবসা হার্ডওয়্যার নির্ভর। কিন্তু গুগল নির্ভরশীল বিজ্ঞাপনের ওপর। কাজেই গুগল চাইবে আপনি স্মার্টফোনের পর্দায় সবসময় চোখ রাখুন। তারা চায় ফোন ব্যবহারকারীদের ''যেন ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাটা হয় আনন্দের''। লক্ষ্য করবেন মিস লা প্রায়েরি কিন্তু কখনই এমন কথা বলছেন না যে ''আপনার ফোন বন্ধ রাখুন''। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো এখন ভাবছে স্মার্টফোনের সাইজ ছোট করাটা হয়ত একটা সমাধানের পথ হতে পারে। ক্ষুদে ফোন কি তাহলে সমাধানের পথ? একজন বিশ্লেষক বেন উড বলছেন মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা কখই বন্ধ করবে না। \"ফোনের বিক্রি তারা চালিয়ে যাবে। বড় পর্দার ফোন যে সুবিধাগুলো দেয়, সেগুলো ছোট সাইজের ফোনে ঢোকানোর চেষ্টাও তারা হয়ত করবে। কিন্তু মূল কথা হল আপনি কী চাইছেন?\" \"আপনার সামনে চটকদার নানাধরনের ফোন, নানা লোভনীয় সুবিধা নিয়ে আসবে। কিন্তু আপনি স্মার্টফোনে কতক্ষণ সময় কাটাতে চাইবেন সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার ওপর।\" ক্যাথরিন প্রাইস একটি বই লিখেছেন \"ফোনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন কীভাবে\" এই শিরোনামে। তার বাচ্চা হবার পর একদিন হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন যে বাচ্চা তার দিকে শুধু তাকিয়ে নেই - এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার স্মার্টফোনের পর্দার দিকে। ক্যাথরিন প্রাইস বলছেন তিনি এখন ফোন ব্যবহার করেন আগের থেকে অনেক কম এবং তিনি তাতে খুশি। \"আমি চাই নি যে আমার সন্তানের মনে হোক মানুষের মধ্যে সম্পর্কের চেয়ে বেশি দরকারি তার স্মার্টফোন। অন্যদিকে আমি এটাও চাই নি যে স্মার্টফোন আমার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করুক।\" তিনি বলেন, \"ফোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার মানে এই নয় যে আপনার ফোন আপনি ত্যাগ করবেন, বা বাসের নিচে সেটা ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। আপনাকে ফোনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যে বন্ধু বুঝবে কখন আপনি তার সঙ্গে সময় কাটাতে চান।\" তার বই-এ তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন: আপনার স্মার্টফোনে শুধু সেই নোটিফিকেশনগুলো চালু রাখুন যেগুলো শুধু আপনার জন্য জরুরি। আমার জন্য জরুরি হল - ফোনকল ও টেক্সট মেসেজ নোটিফিকেশন। কারণ সেগুলো আসে সত্যিকারের মানুষের কাছ থেকে যারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়। আর আমার ক্যালেণ্ডার ও ম্যাপ। আপনার মোবাইলের পর্দায় শুধু সেই অ্যাপগুলোই রাখুন যেগুলো আপনার সত্যিই কাজে লাগে। ইমেল, সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ, খবরেরঅ্যাপ এসব একটা ফোল্ডারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখুন। যাতে সবসময় সেগুলো আপনার চোখের সামনে না থাকে। প্রয়োজনে সেগুলো খুলেবেন। শোবার ঘরে স্মার্টফোন রাখবেন না। বিছানার পাশে যেখানে স্মার্টফোন রাখা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, সেখানে আপনার পছন্দের আর কিছু রাখুন। ধরুন বই- যাতে হাত বাড়ালে ফোনের বদলে আপনার হাতে আসবে বই। অ্যালার্মের জন্য যদি ফোনের ঘড়ি ব্যবহার করেন সেটা না করে আলাদা অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। নাহলে দেখবেন ভোরে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে আপনার হাতে আছে মোবাইল ফোন। ফেসবুকে একটি প্লাগইন আছে যা দিয়ে আপনি অনবরত দেখতে পারেন আপনার পোস্ট কটা লাইক পেল। সেটা বন্ধ রাখুন। আপনার সময়মত অবশ্যই আপনি দেখে নিতে পারেন কটা লাইক পেল আপনার পোস্ট। কিন্তু এই প্লাগইন ব্যবহার করলে আপনি অনবরত দেখতে থাকবেন লাইকের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে - ১৭ থেকে ২০- ২০ থেকে ২৫ ইত্যাদি। 'অপরাধ-বোধ' স্মার্টফোন ব্যবহারে আমরা এখন অভ্যস্ত। ফোন আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। সেই ফোন এক কথায় ছুঁড়ে ফেলা বা \"দেখব না\" এমন পণ করা কঠিন। \"আবহাওয়ার খবর দেখতে গিয়ে এখনও আমি টুক করে সামাজিক মাধ্যমে ১০ মিনিট সময় কাটিয়ে ফেলি। তারপর অপরাধ বোধে ভুগি। তবে দরকারে, তথ্য খোঁজার তাগিদে, জরুরি যোগাযোগের জন্য যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি তখন আমার অপরাধ বোধ হয় না।\" বিশ্লেষক মি: উড বলছেন ২০১৯ সালে মানুষ তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস অনেকটাই পাল্টাবে এমনটাই তার ধারণা। তবে তার মতে: ''ফোনের সঙ্গে সম্পর্কত্যাগ? এটা হবে বিশাল একটা চাওয়া।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কেন বিতর্ক এড়াতে পারছে না নির্বাচন কমিশন? 'নিরাপত্তা হুমকি'র মুখে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সংসদ নির্বাচন: দেখে নিন কার ইশতেহারে কী আছে?", "doc2": "Google bildirib ki, Android əməliyyat sistemi istifadəçilərinin 70 faizi telefon və planşetlərinə çox vaxt sərf etdiklərinə görə narahatdırlar. Bu tendensiya texnologiya sektorunu qəribə bir vəziyyətə salır. Öz platformalarına daha çox istifadəçi cəlb etməyə çalışan şirkətlər, insanların mobil telefonlarından uzaq durmasına necə kömək edə bilərlər? Həm Apple, həm də Google, \"Screen Time\" (Ekran Vaxtı) və \"Digital Welbeing\" (Rəqəmsal Sağlamlıq) adlı iki rəqəmsal alət yaradaraq, onların vasitəsilə iPhone və Android istifadəçilərinə cihazlara nə qədər vaxt sərf edildiyini göstərə bilər. Google-un Londondakı proqram mühəndisi Rose La Prairie yeni tətbiqin inkişaf etdirənlərdən biridir. \"Bu cür məlumatı nəzərdən keçirmək bəzi istifadəçilərə kifayət edir ki, telefona xərclədikləri vaxtın həcmindən şoka düşsünlər,\" - Google-un Londondakı proqram mühəndisi, yeni tətbiqin müəlliflərindən biri - Rose La Prairie deyir. \"Yaxşı bir təcrübə\" Apple-dan fərqli olaraq, Google-un əsas qazancı reklamlardan çıxır, odur ki, Google istifadəçinin gözünün ekranda olmasında maraqlıdır. La Prairie-in sözlərinə görə, onun şirkətini maraqlandıran əsas məqsəd \"istifadəçilərinin yaxşı bir təcrübə qazanmasıdır\" Bəzi şirkətlər isə böyük ekranlı smartfonlardan uzaqlaşmanın yolunu daha kiçik ekranlı smartfonlara keçməkdə görür. Texnologiya eksperti Ben Wood şirkətlərin kiçik ekranlı smartfonlar satmaq cəhdlərinin \"istehza doğurduğunu\" qeyd edir. Wood hər şeyin iradədən asılı olduğunu vurğulayır. \"Nə qədər telefon alırsınızsa - alın, telefona sərf etdiyiniz vaxt sizin özünüzdən asılıdır.\" \"Telefonunuzdan necə ayrılmalısınız?\" adlı kitabın müəllifi Catherine Price deyir ki, körpəsinin gözünün - onda, onun özünün gözünün isə telefonunda olduğunu anladıqdan sonra kitab yazmaq qərarına gəlib. Catherine Price deyir ki, telefonundan daha az istifadə etməyə başlayandan sonra özünü daha xoşbəxt hiss edir. Price deyir ki, telefondan xilas olmaq ondan \"ayrılmaq, tullamaq və ya bir avtobusun altına atmaq deyil, telefonunuza yoldaş olmaqdır.\" Qiymət, kitabında telefonla \"dostluq\" qurmaq üçün 30 günlük hərəkət planını təsvir edir. Onun əsas təklifləri aşağıdakılardır: Telefonla \"dostlaşmaq\" üçün Price kitabında 30 günlük bir hərəkət planına əməl etməyi təklif edir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42883328", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-42887370", "doc1": "হার্ট অ্যাটাক বা ফুসফুসের আক্রমণের অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে সফটওয়্যারের অ্যালগোরিদম ব্যবস্থা সংকেত দিতে পারবে অনেকটা কল্পকাহিনীর মতো শোনালেও, এখন সেটি সম্ভব হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দপ্তর এ রকম একটি সফটওয়্যারের অনুমোদন দিয়েছেন, যেটি হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে আগাম সতর্ক বার্তা দিতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এই ব্যবস্থা চালু করেছে। আরো খবর: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় ঢাকায় গ্রেফতার হিন্দু দেবীর নামে 'কটূক্তি': সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা এটা আসলে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একজন রোগীর শারীরিক লক্ষণ যাচাই বাচাই করে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে সংকেত দিতে পারে। ফলে চিকিৎসক এবং সেবিকারা তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ''স্বাস্থ্য সেবা বিভাগগুলো এখন একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে- মানুষ আগের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন, কিন্তু তারা এখন অনেক দীর্ঘমেয়াদি রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীদের নজরদারিতে রাখা হলেও চিকিৎসক বা সেবিকারা তখনি সেবা দিতে পারেন, যখন কেউ ভয়াবহ কোন ঘটনার শিকার হন। আগে তাদের সেটি বুঝতে পারা সম্ভব নয়।'' বলছেন এক্সেল মেডিকেল সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক ল্যান্স বার্টন, যার কোম্পানি এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। নির্মাতারা বলছেন, এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা বিশেষ কোন যন্ত্রপাতির দরকার হবে না। হাসপাতালে এখন যে নজরদারি ব্যবস্থাগুলো চালু রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করেই নতুন এই প্রযুক্তি কাজ করবে। বাস্তবতা হলো, অনেক হাসপাতালেই রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক বা কর্মী থাকে না। এমনকি একজন রোগীর সব তথ্য যাচাই বাছাই করাও হয়তো তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আর এই সমস্যারই সমাধান দেবে ওয়েভ ক্লিনিক্যাল প্লাটফর্ম নামের এই সফটওয়্যার। সেটি রোগীর বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই এবং শারীরিক অবস্থা, ধরণ পর্যালোচনা করবে, যা হয়তো মানুষের সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। নির্মাতারা বলছেন, এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা বিশেষ কোন যন্ত্রপাতির দরকার হবে না। হাসপাতালে এখন যে নজরদারি ব্যবস্থাগুলো চালু রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করেই নতুন এই প্রযুক্তি কাজ করবে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, চিকিৎসার ভুলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রেই অন্তত ১০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। যা দেশটির মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় বড় কারণ। এখন ওয়েব সফটওয়্যার নির্মাতারা আশা করছেন, এর মাধ্যমে বছরে এ ধরণের অন্তত আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যাবে। নির্মাতারা বলছেন, এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা বিশেষ কোন যন্ত্রপাতির দরকার হবে না। হাসপাতালে এখন যে নজরদারি ব্যবস্থাগুলো চালু রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করেই নতুন এই প্রযুক্তি কাজ করবে। সফটওয়্যারটি হার্ট বিট, ফুসফুসের শ্বাস নেয়ার ধরণ, রক্তের চাপ, শরীরের তাপমাত্রা আর অক্সিজেনের মাত্রা যাচাই করবে। এসব তথ্য স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের ফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারেও দেখতে পারবেন সফটওয়্যারটি হার্ট বিট, ফুসফুসের শ্বাস নেয়ার ধরণ, রক্তের চাপ, শরীরের তাপমাত্রা আর অক্সিজেনের মাত্রা যাচাই করবে। এসব তথ্য স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের ফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারেও দেখতে পারবেন। ফলে বিছানার পাশে না এসেও, তারা যেকোনো স্থানে বসে রোগীর উপর নজরদারি করতে পারবেন। রোগীদের ০-৫ মাত্রায় নজরদারি করা হবে। কোন রোগীর অবস্থা যদি ৩ এর বেশি হয়ে যায়, তখনি সফটওয়্যারটি সতর্ক বার্তা পাঠাতে শুরু করবে। তবে ওয়েবের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, এই সফটওয়্যারের অ্যালগোরিদম ব্যবস্থা, যার নামকরণ করা হয়েছে ভিসেনশিয়া সেফটি ইনডেক্স। প্রথমবারের মতো মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ ধরণের কোন স্বাস্থ্য সফটওয়্যারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এর মাধ্যমে সব রোগীকেই যে বাঁচানো যাবে, সেই আশা করছেন না বিজ্ঞানীরা। তারা এখন শুধুমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে চাইছেন। ওয়েব ক্লিনিক্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের ছবি এর মধ্যেই সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং সেখানে আশাতীত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে এখনো যদিও এই সফটওয়্যারটি শুধুমাত্র নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোয় ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু নির্মাতার চেষ্টা করছেন এটির আরো উন্নতি করার, যাতে সাধারণ মানুষজনের হাতেও পৌঁছে দেয়া যায়। হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের বাইরে অন্যান্য রোগও যাতে এটির মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, সেই চেষ্টাও করছেন নির্মাতারা। । বিবিসি বাংলার আরো খবর: রায় নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠক প্রস্তাবিত আইনের প্রতিবাদে ফেসবুকে #আমি গুপ্তচর কেমন ছিল মোহনদাস গান্ধীর জীবনের শেষ দিনগুলো অধিনায়কত্ব নিয়ে কী ভাবছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ?", "doc2": "Alqoritm ürəktutma və ya nəfəs çatışmazlığını hadisədən 6 saat əvvəl proqnozlaşdıra bilir. İnanılmazdır, eləmi? Lakin ABŞ-da, ən azı, bəzi hospital pasiyentləri üçün bu mümkündür. ABŞ-ın Ərzaq və Dərman Nəzarəti Administrasiyası (FDA) kardio-respirator xəstəliklərdən gözlənilməz ölüm hallarının qarşısını ala bilən ilk alqoritmdən istifadə olunmasına icazə verib. Fəlakətin proqnozu Hospitalda nəzarətdə olan xəstə barədə məlumatları kompüter proqramı təhlil edərək mümkün böhranı baş verəcəyindən azı 6 saat öncə proqnozlaşdıraraq, dərhal bu barədə həkim və sanitarları xəbərdar edir. \"Səhiyyə sistemi müasir dövrdə xeyli problemlə üzləşir - insanlar daha uzun ömür yaşamaqla yanaşı daha çox sayda da xroniki xəstəliklərə tutulurlar. Eyni zamanda xeyli sayda təcrübəli həkim təqaüdə çıxır\", - sözü gedən alqoritmi işləyib hazırlayan ExcelMedical şirkətinin baş direktoru Lance Burton deyir. \"Həkimlər çox vaxt fəlakət artıq baş verdikdən sonra əl-ayağa düşürlər, ondan öncə - yox\", - Lance Burton BBC Mundo xidmətinə bildirib. Reallıq belədir ki, bir çox hospitallarda bütün pasiyentləri fasiləsiz nəzarətdə saxlamaq üçün həkim, sanitar çatmır. WAVE sistemi üçün hospitallarda artıq mövcud olan monitorinq avadanlığı da yararlıdır. \"Pasiyentdən alınan bütün məlumatları insan tam həcmdə təhlil etmək gücündə deyil, nəticədə, xəstənin durumunun nə vaxt pisləşməyə başlayacağını deməkdə də həkim çətinlik çəkir\", - Burton fikrini davam edir. ExcelMedical tərəfindən yaradılmış alqoritmə WAVE Klinik Platforması adı verilib. Ölüm hallarının ən yayılmış 3-cü səbəbi Johns Hopkins Universitetinin bildirdiyinə görə, ABŞ-da xəstələr arasında ölüm hallarının ən azı 10 faizi həkim tərəfindən buraxılan səhv ilə əlaqəlidir. ABŞ-da bu, baş verən ölüm hallarının ən geniş yayılmış 3-cü səbəbi sayılır. WAVE sisteminin müəllifləri hesab edir ki, yeni alqoritmin köməyi ilə azı 250,000 ölümün qarşısını almaq mümkündür. ExcelMedical-ın bildirdiyinə görə, proqramdan istifadə qaydası olduqca sadədir: bunun üçün xüsusi yeni avadanlıq da tələb olunmur. WAVE sistemi üçün hospitallarda artıq mövcud olan monitorinq avadanlığı da yararlıdır. Həyacan siqnalları Yeni monitorinq sisteminin kompüter proqramı 5 əsas parametri təhlil edir: pulsu, nəfəsalma ritmini, qan təzyiqini, bədən temperaturunu və oksigen səviyyəsini . Sistemə həkim və sanitarların smartfon və kompüterlərinin çıxışı var. Nəticədə, onlar pasiyentlər barədə bütün məlumatları məsafədən də toplamağa qadirdirlər. Sistemə həkim və sanitarların smartfon və kompüterlərinin çıxışı var. WAVE sisteminin ən əsas xüsusiyyəti isə Visensia Safety Index adlanan alqoritmdir. Bu alqoritm xəstədən gələn bütün məlumatları təhlil edərək, xəstənin durumuna yaranan riski 5 ballıq şkala ilə ölçür. Risk göstəricisi 3 bal səviyyəsini aşanda həkim personalına həyacan siqnalı ötürülür. Risk göstəricisi 3 bal səviyəsini aşanda həkim personalına həyəcan siqnalı ötürülür. Müvəffəqiyyətli sınaqlar ExcelMedical tərəfindən Pittsburgh universitetinin tibbi mərkəzində keçirilmiş sınaqlar böyük uğurla keçib. Sınağın keçirildiyi 8 həftə ərzində WAVE sisteminin nəzarətində olan xəstələr arasında gözlənilməz ölüm halları qeydə alınmayıb. Bu zaman, adi qaydada nəzarət edlən xəstələr qrupunda isə 6 ölüm halı baş verib. Bununla belə, WAVE sistemindən hələlik yalnız intensiv müalicə altında olan xəstələr üçün istifadə edilir. WAVE yaradıcıları hazırda geniş əhali üçün nəzərdə tutulan kardio-respirator xəstəliklərdən ölüm hallarının qarşısını almağa imkan verən mexanizmin hazırlanmasını qarşılarına məqsəd qoyub. Digər bir məhdudiyyət isə ondan ibarətdir ki, WAVE vasitəsilə insultun baş vermə riskini hesablamaq mümkün deyil, halbuki bu, dünya boyu baş verən ölüm və əlillik hallarının ən əsas səbəblərindən biridir. Burton qeyd edir ki, kardio-respirator xəstələrin heç də hamısını xilas etmək mümkün olmur: \"Bəzən elə olur ki, pasiyent xəstəxanaya gətirilir və artıq məlumdur ki, o, yaşamayacaq\" WAVE sistemindən, hələlik yalnız intensiv müalicə altında olan xəstələr üçün istifadə edilir. \"WAVE sistemi ölməzliyə təminat verə bilməz\", - Burton deyir. Proqramın yaradıcıları hazırda sistemin təkmilləşdirilməsi və başqa növ xəstəliklər üçün də istifadəsinin mümkün edilməsi üzərində işiləyirlər. \"Bizim növbəti hədəfimiz - sepsis xəstəyidir\", - deyən Burton qeyd edir ki, bu infeksiyaya hər il dünyada 20 milyona yaxın adam yoluxur, onlardan təxminən 8 milyonunu isə həmin xəstəlik öldürür."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43807587", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-43810901", "doc1": "ম্যালেরিয়া ছড়ায় মশাবাহিত একরকম পরজীবী জীবাণুর মাধ্যমে এর ফলে উদ্বেগ দেয়া দিয়েছে যে প্রাণঘাতী এই রোগটি আবার জোরেশোরে ফিরে আসতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গত দুই দশকে ম্যালেরিয়ায় সংক্রমণের হার কমে গেলেও, এখন আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে। এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে - তা ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের ম্যালেরিয়া বিভাগের পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জলবায়ু ও পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার সংখ্যাবৃদ্ধি এর একটা বড় কারণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলাগুলো সহ ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব আছে। তার কথায়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজারের কিছু অংশে পরিবেশগত পরিবর্তনের জন্য মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। ড. ইসলাম বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে। মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকাগুলোতেও ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুর্ভাবনায় ভারত? একজনের মুখ কেটে দু'বার বসানো হলো অন্যজনের মুখ প্রতিদিন অতিরিক্ত মদ্যপান করলে কমতে পারে আয়ু ইউরোপে কিভাবে 'দাসপ্রথা' চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া ? বাংলাদেশে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, ব্যবসায়ী আটক ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা গত বছরের আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই লোকই ছিলেন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন জায়গা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যা বেড়েছে। অবশ্য অন্যান্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব কমেছে বা একই রকম আছে। ধনকুবের এবং সমাজসেবী বিল গেটস কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে লন্ডনে আসা নেতাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন যেন তারা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আরো অর্থ দেবার অঙ্গীকার করেন। মি. গেটস এবং অন্য দাতারা মিলে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের নতুন তহবিল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছেন - যার লক্ষ্য হবে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিবিসিকে বলেছেন, মশারিকে আরো উন্নত এবং দীর্ঘমেয়াদে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ আবিষ্কারে এই অর্থ খরচে করা হবে। লন্ডনে আন্তর্জাতিক এক ম্যালেরিয়া সম্মেলনের আগে তিনি একথা বলেন। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার বেশির ভাগই পার্বত্য এলাকায়", "doc2": "Mütəxəssislər və xeyriyyəçi Bill Gates Londonda keçirilən Britaniya Birliyi sammiti ərəfəsində dövlət liderlərini malyariya ilə mübarizəyə daha çox vəsait ayırmağa səsləyiblər. 2016-cı ildə dünya əhalisinin az qala yarısı malyariya riski ilə üzləşib, 91 ölkədə 216 milyon insan isə bu xəstəliyə düçar olub. 2016-ci ildə əvvəlki illə müqayisədə xəstəlik hallarının sayı 5 milyonadək artıb. Mütəxəssislər hesab edir ki, malyariyaya qarşı daha çox resurs və önləyici addımlar tələb olunur. Əks halda onun yayılması nəticəsində ölümlərin sayı arta bilər. Malyariya hallarının sayı Cənubi və Şərqi Asiya, Sakit Okean regionu, Amerikanın müxtəlif bölgələri və Afrikada artmaqdadır. Bu arada bir çox başqa regionlarda malyariyanın yayılması ilə bağlı vəziyyət ya sabit qalır yada ki, xəstəlik hallarının sayı aşağı düşməkdədir."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52550480", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-52556704", "doc1": "সিসিলি দ্বীপের একটি দরিদ্র এলাকায় গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করছেন এক লোক। তিনি স্থানীয় একটি মাফিয়া গোষ্ঠীর এক সদস্য বা মাফিওসোর ভাই। “লোকজন আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে। তারা বলে তারা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াতে পারছে না। এক তরুণী তো আমাকে প্রতিদিনই ফোন করে। এই মেয়েটি বলছে তার পাঁচটা ছেলে-মেয়ে এবং সে জানেনা কীভাবে তার বাচ্চাদের খাবার জোগাবে।” এই লোকটি স্বীকার করতে রাজি নয় যে সে নিজে কোন মাফিয়া চক্রের সদস্য। কিন্তু তার কথা হচ্ছে, কোন মাফিয়া চক্রের সদস্য হওয়ার মানে যদি হয় লোকজনকে সাহায্য করা, তাহলে একজন মাফিওসো হিসেবে সে গর্বিত। করোনাভাইরাস হয়তো নতুন, কিন্তু দরিদ্র লোকজনের মধ্যে খাবার বিতরণ করা মাফিয়াদের একটি পুরনো কৌশল। “ওদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা এবং তারপর রাষ্ট্রের বিকল্প একটি শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা”, বলছেন নিকোলা গ্রাটেরি। তিনি ক্যালাব্রিয়ার কাটানযারোর প্রধান কৌঁসুলি এবং একজন মাফিয়া বিরোধী তদন্ত কর্মকর্তা। গত কয়েক বছর ধরেই ইতালির অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে বেকারত্বের হার খুব বেশি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার খুবই ধীরগতির। করোনাভাইরাস মহামারির ফলে কিছু মানুষের পিঠ যেন একেবারে দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা চরম হতাশাগ্রস্থ, বেপরোয়া। কিন্তু এরকম একটা অবস্থায় মাফিয়াদের কাছ থেকে একেবারে সামান্যতম সাহায্য নেওয়াও কিন্তু খুবই বিপদজনক। “মাফিয়ারা আসলে আজ পর্যন্ত কোন কিছুই দয়া দেখিয়ে করেনি। তাদের মধ্যে দয়া বা মহানুভবতার ধারণাটাই নেই”, বলছেন এনজা রান্ডো। তিনি কাজ করেন একটি মাফিয়া বিরোধী সংস্থার সঙ্গে। “তারা শুধু একটা জিনিসই জানে, আর তা হচ্ছে, তুমি যদি আমার পিঠ চুলকে দাও আমি তোমারটা চুলকে দেব।” মাফিয়ারা শুরুতে তাদের দেয়া সাহায্যের জন্য কোন প্রতিদান চাইবে না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন প্রত্যেককে এই সাহায্যের প্রতিদান দিতে হবে। পালার্মোর নগর কেন্দ্রের কাছে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক মার্সেলো। গত মার্চে লকডাউন জারি হওয়ার পর তাকে সেই রেষ্টুরেন্টটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। . মার্সেলো মনে করছেন যে তাকে এমন একটা সাহায্যের প্রস্তাব দেয়া হবে যেটা তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না। “তারা খুবই সোজাসাপ্টা”, বলছেন তিনি। “একজন মাফিওসো আপনার দরজায় টোকা দেবে এবং তারপর বলবে তোমার ব্যবসাটা আমরা কিনতে চাই। তক্ষুনি। তখন হয়তো আপনি তার সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করবেন। এবং তারপর কেউ একজন অর্ধেক টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেবে। বাকিটা আপনাকে নগদে দেয়া হবে।” “এই মুহূর্তে আমার ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ, পুরো ব্যবসাটা আসলে ডুবতে বসেছে। এরকম একটা অবস্থায় কেউ যখন আমার দিকে বাঁচার মতো কিছু একটা ছুঁড়ে দেবে, তখন আপনাকে হয়তো সেটা গ্রহণ করতে হবে অথবা নিজের আদর্শ আঁকড়ে ধরে রেখে ডুবে মরতে হবে।” গারসপারে মাটোলো সিসিলির একটি মাফিয়া গোষ্ঠীর এক সাবেক সদস্য। তিনি বলছেন, সাহায্যের প্রতিদান পাওয়ার জন্য মাফিয়া একটা সময়ে ঠিকই ফিরে আসবে। মাটোলো একজন সাবেক মাফিওসো এবং তিনি বেশ কয়েকটি মাফিয়া বিরোধী মামলায় সাক্ষী ছিলেন। “আমি নিজেই একসময় এভাবে কাজ করেছি। আমি সবসময় ছিলাম বেশ প্রাণবন্ত। আমাকে মনে হতো বেশ উদার মনের এক মানুষ। আমি কখনোই নিজের আসল চেহারা প্রকাশ করিনি। কিন্তু মনে রাখবেন আমি ছিলাম একজন অপরাধী - আমি ২০ জনের বেশি লোককে হত্যা করেছিলাম।” মাটোলো বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন একটা গোপন জায়গা থেকে। সেখানে পুলিশ তাকে পাহারা দেয়। তিনি তার সময় কাটান ছবি এঁকে। তার আঁকা অনেক ছবিতে দেখা যায় কীভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মাফিয়া তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে। তিনি বলছেন, যখনই তিনি অভাবে পড়া কাউকে সাহায্য করেছেন, লোকটি কে, সেটি তিনি দেখেননি। “যখন কিনা আপনার ছেলে কাঁদছে খাবার টেবিলে কোন খাবার নেই বলে, যখন কিনা আপনার ব্যবসা প্রায় দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম, তখন আপনি কোন খারাপ লোকের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় আসলে নেই। তখন আপনার একটাই চিন্তা কীভাবে আমি বাঁচব।” এরপর যখন স্থানীয় নির্বাচন শুরু হতো, তখন মাটোলো সেইসব লোকের কাছে যেতেন যাদের তিনি সাহায্য করেছিলেন। তিনি বলতেন, আমাকে কি মনে করতে পারো? আমি তোমাকে সাহায্য করেছিলাম যখন তোমার সাহায্যের দরকার ছিল। এখন আমার সাহায্যের দরকার। আমি চাই তুমি তোমার ভোটটা আমার প্রার্থীকে দেবে। মাটোলো বলছেন মাফিয়াদের কাছে কোন একটা সংকটে খরচ করার মতো অর্থ একেবারে প্রস্তুত থাকে। যখন কাউকে সাহায্য করার ব্যাপার আসে সেই কাজে তারা রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ। আন্তোনিও এবং তার স্ত্রী ফ্রানসেস্কা দক্ষিণ ইতালির ছোট্ট শহর আপুলিয়ায় একটি মাংসের দোকানের মালিক। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানের অবস্থা বেশ কাহিল। কয়েকদিন আগে তাদের একজন নিয়মিত খদ্দের দোকানে আসলো এবং তাদেরকে সাহায্য করার জন্য নগদ অর্থ দেয়ার প্রস্তাব করলো। “আমরা দুজনে দুজনের চোখের দিকে তাকালাম। আমাদের বুক ধুকপুক করছিল। আমরা সাথে সাথে বুঝতে পারলাম কি ঘটতে যাচ্ছে”, বলছিলেন আন্তোনিও। আন্তোনিও এবং তার স্ত্রী এই প্রস্তাব সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করলেন। “কিন্তু মাফিয়াদের ব্যবসার একটা প্রধান দিক হচ্ছে টাকা ধার দেয়া। তারা টাকা ধার দেবে । কিন্তু ধার নেয়ার পর ধীরে ধীরে শুরু হবে আপনার যন্ত্রণা। মাফিওসোর চূড়ান্ত লক্ষ্য এই টাকা দিয়ে মুনাফা অর্জন নয়। তারা চায় আপনার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে এবং তারপর সেই ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতে‍।” . মাফিয়াদের চাঁদাবাজির শিকার যারা, তাদের জন্য চালু করা এক হটলাইনে টেলিফোন কলের সংখ্যা ১০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ‍”সরকার যদি এদের কোন সাহায্য না করে, তাদেরকে কিন্তু মাফিয়াদের কোলে ঠেলে দেয়া হবে”, বলছেন এই হেল্পলাইনের এটিলিও সিমিওন। গত শতকের গ্রেট ডিপ্রেশনের পর বিশ্ব যখন সবচেয়ে খারাপ এক অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি, ইতালির বহু মানুষ তখন চরম অর্থকষ্টে। “এই মুহূর্তটা মাফিয়াদের জন্য একটা মোক্ষম সময়”, বলছেন এনজা রান্ডো। আরো অনেক মাফিয়া বিরোধী বিশেষজ্ঞদের মত তিনিও ইতালির সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন যাতে করে লোকজন এবং বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সহজে টাকা ধার করতে পারে। মাফিয়ারা নগদ অর্থের সাহায্য নিয়ে তাদের কাছে হাজির হওয়ার আগেই যেন তারা সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পায়। ইতালিয়ান সরকার বলছে যে তারা প্রতিটি ব্যবসা, যারা সঙ্কটে আছে তাদেরকে ২৫ হাজার ইউরো করে টাকা ধার দেবে। তবে মার্সেলোর কোনো আগ্রহ নেই সরকারের কাছ থেকে টাকা ধার করার। “কারণ এই টাকা ফেরত দেওয়া খুব কঠিন হবে। যেসব দোকান নতুন করে খুলবে তাদেরকে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এর মানে হচ্ছে আগের চেয়ে আমরা অনেক কম কাস্টমার পাব এবং আমাদের বেচা-বিক্রি এবং মুনাফা আগের চেয়ে কম হবে।” তিনি আরো বলছেন, যে কয়জন রেস্টুরেন্ট মালিককে তিনি জানেন তাদের সবার ভাবনাও একই রকম। এরা সবাই মনে করছেন কোন মাফিয়ার কাছে দ্রুত ব্যবসা বিক্রি করে দেয়াটাই সবচেয়ে ভালো। “আমার নিজেকে চরম ব্যর্থ বলে মনে হচ্ছে। আমি সব সময় মাফিয়াদের নিন্দা করেছি। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে সারাজীবন আমি যা বিশ্বাস করে এসেছি, এখন আমি তার সঙ্গে বেইমানি করতে যাচ্ছি।” (এই প্রতিবেদনে অনেকের নাম বদলে দেয়া হয়েছে তাদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য) অংকন শিল্পী: জিলিয়া ডাস্টমালচি বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায়", "doc2": "Karantin dövründə mafiya yoxsul ailələrə ərzaq paylayır \"Cosa Nostra\" adlı mütəşəkkil cinayətkar qrupun liderinin qardaşı Siciliyanın Palermo şəhərində yoxsullara ərzaq paylayır. \"İnsanlar mənə zəng vurub ağlayır, uşaqlarının ac olduğunu deyirlər. Ona görə də belələrinə kömək edirəm. Gənc bir qadın hər gün zəng vurub beş uşağına nə yedirəcəyini soruşur. Mafiya üzvü olmaq insanlara kömək etmək deməkdirsə, mən mafiya üzvü olmağımla qürur duyuram\" - bunları o mənə sosial media vasitəsilə baş tutan söhbətimiz əsnasında deyib. \"Cazibəli xilaskar\" Onlarla mafiya mübahisəsinin şahidlərindən olan, Siciliya mafiyasının üzvü Qaspare Mutolo \"Bax, mən də tam bu cür çalışıram\" deyir. \"Mən həmişə cazibəli olmuşam, alicənab görünmüşəm. Mafiya insanların rəğbətini qazanmaq istəyir, ona görə də insanlara həqiqi üzümü göstərmirdim. Halbuki 20-yə yaxın adam öldürmüş cinayətkarıydım\" - bunlar da Mutolonun sözləridir. Polisin müdafiəsi altında yaşayan və gizli bir yerdə BBC-yə müsahibə verən Mutolo şəkil çəkməklə gün keçirir. Onun şəkillərində mafiyanın məhəllələri \"qollarıyla\" necə qucaqladığı təsvir olunur. Keçmiş mafiya üzvü Qaspare Mutolonun çəkdiyi şəkillərdən biri: Palermonun məhəllələrindəki səkkizayaqlı ilbiz Mutolo deyir ki, \"yardım\" etdiyi ailələr bunun kimdən gəldiyini soruşmurlar: \"Uşaqlarınız acından ağlayırsa və işiniz iflas ərəfəsindədirsə, yanlış adamların köməyini qəbul etməyin nəticələri barədə düşünmürsünüz. Həyatda qala bilmək üçün yollar axtarırsınız\". Köhnə üsullar Qida paketləri paylamaq mafiyanın özü qədər köhnə üsullardandır. Catanzaro prokurorluğunda mafiyayla bağlı istintaq araşdırmaları aparan Nikola Qratteri deyir ki, mafiyanın məqsədi \"etibar qazanmaq və dövlətin alternativi rolunda çıxış etməkdir\". Mafiyanın gücü onun tapşırıqlarını yerinə yetirən yerli təşkilatlarındadır. \"Koronavirus epidemiyası dövründə bu vəziyyətlə daha çox qarşılaşacağıq\" - Qatteri belə deyir. Mafiyaya qarşı fəaliyyət göstərən qurumlardan birinin əməkdaşı Enza Rando deyir ki, mafiya üzvlərindən ən kiçik yardım almaq belə son dərəcə təhlükəlidir: \"Mafiya heç vaxt xeyirxahlıq və alicənablıq motivləriylə iş görmür. Onların lüğətində belə sözlər yoxdur. Mafiyanın fəaliyyəti \"Sən məni müdafiə etsən, mən də səni müdafiə edərəm\" prinsipi üzərində qurulub\". Marcello Palermonun paytaxtında bir restoran işlədir. Müəssisə mart ayından bəri qapalıdır: \"Gözləyirəm ki, mafiya gəlib alsın, çünki təkrar aça biləcəyimə inanmıram. Biri gəlib qapınızı döyür və bir məbləğ təklif edir. Qiymət barədə danışıqlar aparırsız. Sonra məbləğin bir hissəsi hesabınıza köçürülür, yerdə qalan qismini nağd alırsız. İşin ən cəzbedici tərəfi də elə budur\". Restoran sahibi: \"Buranı mafiyanın satin almasını gözləyirəm, çünki təkrar aça biləcəyimə inamıram\" Marcello deyir ki, belə təklifi rədd etmək çətindir: \"Biznesim batır. Biri xilasedici həlqə uzadanda ya ideallarınızı seçib boğulursunuzz, ya da o həlqəyə doğru üzürsünüz\". Başlanğıcda mafiya sizdən heç nə istəmir. Amma hər kəs aldığı yardımın qarşılığını ödəmək məcburiyyətindir. Keçmiş mafiya üzvü Mutolo deyir ki, mafiya bir gün mütləq geri dönür. O özünün bunu yerli seçkilər zamanı etdiyini danışır: \"Əvvəl yardım etdiyim insanların yanına gedib deyirdim ki, \"ciao bella\" (\"gözəlim\"), məni xatırlayırsanmı, ehtiyacın olanada sənə kömək etmişdim. İndi də mənim köməyə ehtiyacım var. Səndən istədiyim tək şey bu namizədə səs verməkdir\". Buna \"səsləri satın almaq\" (\"voto di scambio\") deyirlər. Keçmiş mafiya üzvü Qaspere Mutolo deyir ki, \"Ehtiyacı olanlara yardım məsələsində mafiya dövlətdən daha effektli fəaliyyət göstərir\" Sələmçilik və kirli pulların yuyulması Mafiya həmişə qlobal bir böhran arzulayır və ondan faydalanmağı planlaşdırır. Bu baxımdan koronavirus epidemiyasını onlar üçün əsl fürsət hesab etmək olar. \"Əllərində böyük miqdarda nağd pul var. Ehtiyacı olanlara yardım etmək məsələsində dövlətdən daha effektli fəaliyyət göstərirlər\" - Mutolo belə deyir. Mafiya İtaliyanın cənubundakı Apulia şəhərinin sakini, kiçik bir ət dükanı olan Antoni və xanımı Francescaya da yardım etmək istəyib. Bir neçə gün əvvəl onların daimi müştərilərindən biri mağazaya gələrək nağd pul təklif edib. Epidemiyayla bağlı karantin tədbirlərinin onlara böyük çətinliklər yaradacağını bilən Antonio həmin anı belə təsvir edir: \"Xanımımla göz-gözə gəldik, bərk dilxor olduq. Çünki bunun nə anlama gəldiyini bilirdik. Onların pulunu qəbul etmək çox təhlükəli olardı\". Antonio və xanımı kömək təklifini rədd ediblər. Sələmçilik mafiyanın əsas fəaliyyətlərindən biridir. Kiçik faizlə borc verirlər. Ancaq mafiyayla bağlı istintaq araşdırması aparan Qratteri deyir ki, borc verən şəxs bir müddət sonra pis üzünü göstərir: \"Beləliklə, əzablarınız başlayır. Mafiya üzvünün məqsədi pul qazanmaq yox, biznesinizi ələ keçirərək çirkli pul yumaqdır\". Mafiyanın qucağına atılmaq Karantin məhdudlaşdırmaları başlayandan sonra İtaliyada sələm qurbanları üçün qaynar xətt açılıb. Kiçik müəssisələr başda olmaqla, gələn bildirişlərin sayı iki dəfə artıb. Çağrı mərkəzində işləyən Attilio Simeone deyir ki, \"İtaliya hökuməti yardım edə bilmirsə, bu şəxslər mafiyanın qucağına atılmış olur\". Hazırda dünya \"Böyük Böhrandan\" sonrakı ən böyük böhranla üz-üzədir. Təxminlərə görə, İtaliyanın Ümumi Daxili Məhsulunda 9,1% azalma olacaq. Bu, bir çox insanın ciddi problemlərlə üzləşəcəyi deməkdir. Romadakı restoranlardan biri. Qapıya vurulmuş kağızda \"Yardım edin! Ölürük\" yazılıb Enzo Rando bunun \"mafiya üçün çox sərfəli bir məqam\" olduğunu deyir. Mafiyaya qarşı fəaliyyət göstərən digər mütəxəssislər kimi Rando da istəyir ki, mafiyadan nağd pul təklifi gələnə qədər İtaliya hökuməti insanlara və müəssisələrə kredit versin. Hökumətin açıqlamasına görə, ehtiyacı olan müəssisələrə 25 min avroya qədər kredit xətti açılacaq. Ancaq Marcello hökumətə müraciət etməyəcəyini deyir: \"O pulu qaytarmaq mümkün deyil. Açılandan sonra mağazalar sosial məsafə qaydasını tətbiq etməli olacaqlar. Bu, daha az müştəri və daha az gəlir deməkdir\". Epidemiyaya görə qapadılmış restoran. Siciliya Marcello deyir ki, tanıdığı bütün restoran sahibləri onun kimi düşünürlər və onlar da tez bir zamanda müəssisələrini mafiyaya satmağı yeganə çıxış yolu hesab edirlər: \"Özümü tam bir uğursuzluq mücəssiməsi hesab edirəm. Həmişə mafiyanı qınayanlardan olmuşam, bu günsə inandığım hər şeyə xəyanət etmək mərhələsindəyəm\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47026074", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47021664", "doc1": "একজন কিশোরীর আত্মহত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ক্ষতিকর কনটেন্ট বা অডিও-ভিজুয়াল বার্তাগুলো যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেয়া না হয় তাহলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। বিভিন্ন বস্তু যেগুলো দিয়ে একজন ব্যক্তি আত্মহনন করতে পারে বা নিজেকে আঘাত করতে পারে সেসব বস্তুর বিজ্ঞাপন তীব্রভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তাই, সেই বিষয়ক পোস্টগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে সরিয়ে নিতে জোর দেয়া হয়েছে। একজন কিশোরীর আত্মহত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। তারই প্রেক্ষিতে ক্ষতিকারক এসব বস্তু নিয়ে মন্ত্রীর এই কঠোর হুঁশিয়ারি এলো। আত্মহত্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন বিষয়বস্তুর কারণে বা কোন 'অস্বস্তিদায়ক কনটেন্ট' দেখে ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করেন মলি রাসেল নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। মলি ২০১৭ সাল আত্মহত্যা করলেও তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ কোনও সমস্যা ছিল না। তার মৃত্যুর পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে, মলি সোশাল মিডিয়াতে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, আত্মপীড়ন ও আত্মহনন নিয়ে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখছিল। আরো পুড়ন: ফেসবুক থেকে সরে যাচ্ছে কিশোর তরুণরা মার্কিন সিনেটরদের তোপের মুখে জাকারবার্গ আত্মহননকারী নারীদের ১০ জনের চারজনই ভারতের 'মানসিক চাপ' সামলাতে ঢাকায় কী ব্যবস্থা আছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন তীব্রভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কন্যার মৃত্যুর পর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মলির বাবা বলেন, মেয়ের মৃত্যুর পেছনে ইন্সটাগ্র্যামের একটা বড় ভূমিকা আছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এছাড়া, অনলাইন স্ক্র্যাপবুক পিন্টারেস্টকেও দায়ী মনে করছেন তিনি। সানডে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পিন্টারেস্টের সাথে তার মেয়ের আত্মহত্যার সংযোগের বিষয়ে তিনি তুলে ধরেন। ইন্সটাগ্র্যাম এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে যারা মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মপীড়নের মতন 'জটিল ও সূক্ষ্ম' বিষয়ে পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি, ইন্সট্যাগ্রাম আরও বলেছে, তাদের বিশেষজ্ঞ দল মনে করে যে, অনেক ক্ষেত্রেই অন্যের সাথে যোগাযোগ ও আলাপচারিতার ফলে অনেকেই আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসতে পারে। কিন্তু এরপরও ইন্সট্যাগ্র্যাম তার নীতিমালা পুনরায় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিন্টারেস্টের মুখপাত্র জানিয়েছে, ক্ষতিকর কন্টেন্ট ঠেকানোর জন্য তাদের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, এরপরও আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। তাই, গত কয়েকমাস ধরে পিন্টারেস্ট তাদের নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক থেকে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, \"সোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেক অভিভাবক অসহায় বোধ করেন। ফেসবুক বলেছে, আত্মপীড়ন ও আত্মহত্যা নিয়ে ইন্টারনেটে যেসব গ্রাফিক ও সংবেদনশীল বিষয়বস্তু আছে সেগুলো ফেসবুকে নেই। তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা ঠেকাতে বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে জনহিতৈষীমূলক সংস্থা প্যাপিরাস। প্যাপিরাস জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির সাথে প্রায় ৩০টি পরিবার যোগাযোগ করেছে এবং তারা মনে করে যে, তাদের সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভূমিকা রয়েছে। টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট, এপল, গুগোল ও ফেসবুকের কাছে এক চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যে সব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই আত্মপীড়ন ও আত্মহত্যা ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই চিঠিতে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে যে আরও অনেক কিছু করার আছে সে বিষয়েও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মি. হ্যানকক বলেছেন, \"সোশাল মিডিয়ার এই যুগে অনেক অভিভাবক অসহায় বোধ করেন। কিন্তু আমরা আসলে দুর্বল নই। সরকার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে।\" পাশাপাশি মন্ত্রী এটিও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি চান তার দেশ যুক্তরাজ্য আরও নিরাপদ দেশ হোক। মলির বাবা-মা যে কষ্টকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে সেরকমটা যেনও অন্য আর কারো ক্ষেত্রে না ঘটুক। অন্যান্য খবর: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা নেপালের রিপোর্টে দায়ী ইউএস বাংলার পাইলট বেওয়ারিশ লাশের কেন পরিচয় মেলে না", "doc2": "14 yaşlı Molly Russell 2017-ci ildə sosial mediada intihar haqqında məzmunla rastlaşandan sonra intihar edib. BBC-nin Andrew Marr proqramına danışan nazir Matt Hancock deyib: \"Görəndə ki, onlar atmalı olduqları addımı atmırlar, onda qanunvericilik tətbiq olunmalıdır.\" \"Amma mən buna gətirib çıxmasını istəməzdim\", - nazir əlav edib. Bundan əvvəl nazir yeniyetmələr arasında intihar hallarına görə sosial media nəhənglərini intihar və özünə xəsarətyetirməni təqlid edən materialları səhifələrindən \"yığışdırmağa\" çağırmışdı. 2017-ci ildə 14 yaşlı Molly Russell sosial mediada intihar haqqında məzmunla rastlaşandan sonra intihar edib. BBC-yə danışan Molly-nin atası deyib ki, Instagram onun \"qızını öldürməyə kömək edib\". Instagram-ın sahibi olan Facebook bu hadisə ilə bağlı \"dərin təəssüf hissi\" keçirdiyini bildirib və üzr istəyib. İnternet nəhəngi bildirib ki, özünə xəsarətyetirmə və intiharı təqlid edən məzmuna \"platformasında yer yoxdur\". Gənclər arasında intihar hallarının qarşısını almağa çalışan Papyrus xeyriyyə təşkilatı ötən həftə, uşaqlarının intiharında sosial medianın rol oynadığında əmin olan 30-a yaxın ailə ilə ünsiyyətdə olub. Britaniyanın Səhiyyə naziri Matt Hancock Matt Hancock deyib ki, Molly-nin ölümü barədə xəbər onu \"dəhşətə \" gətirib və \"gənclərin qorunması ilə bağlı\" addımların atılması barədə düşündürür. Twitter, Snapchat, Pinterest, Apple, Google və Instagram-ın sahibi olan Facebook-a göndərdiyi məktubunda nazir bu şirkətlər tərəfindən artıq atılan addımları \"alqışlaıyaraq\", qeyd edib ki, \"təcili olaraq daha çox işlər görülməlidir \"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44431032", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/other-news-37682165", "doc1": "প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে শাস্তি হিসেবে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে। গোয়েন্দা কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি থ্রিলার কোয়ান্টিকোর সাম্প্রতিক একটি পর্বে দেখা যায় এর প্রধান চরিত্র, যাতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনয় করছেন, কাশ্মীরের উপর অনুষ্ঠেয় এক সম্মেলনের আগে, কয়েকজন হিন্দু জাতীয়তাবাদীর একটি হামলা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এই কাহিনীতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার বহু ভারতীয় ভক্ত এবং তাকে অনলাইনে আক্রমণ করেছেন। তাকে তারা উল্লেখ করছেন একজন 'বিশ্বাসঘাতক' হিসেবে। এর জবাবে মিস চোপড়া টুইট বার্তায় নিজেকে একজন 'গর্বিত ভারতীয়' বলে উল্লেখ করেছেন। এবং সিরিজের কাহিনীর কারণে কারো মনে আঘাত লেগে থাকলে তার জন্যে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কাউকে আঘাত করা তার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। 'ব্লাড অফ রোমিও' বা 'রোমিওর রক্ত' নামের এই পর্বটি প্রচারিত হয় গত ১লা জুন। এই পর্বে দেখা যায় যে নাটকের প্রধান চরিত্র, যিনি একজন এফবিআই গোয়েন্দা এলেক্স পারিশ, তিনি একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ভেঙে দিয়েছেন। এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল কাশ্মীর সম্মেলনের আগে এবং মিস চোপড়া যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি আবিষ্কার করেন যে আসলে পাকিস্তানিরা নয়, বরং কয়েকজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী মিলে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। এবং হামলার জন্যে পাকিস্তানিদের দায়ী করার জন্যে তারা আক্রমণকারীরা একটি নাটকও সাজিয়েছিল। ভারত এবং পাকিস্তান দুটো দেশই দাবী করে কাশ্মীর তাদের অংশ এবং এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ১৯৪৭ সালের পর পরমাণু শক্তিধর এই দুটো দেশ দু'বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কোয়ান্টিকোর এই পর্বটি প্রচারিত হওয়ার পর অনলাইনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়। অনেকে তাকে উল্লেখ করেন ভারতের জন্যে 'অপমান', 'লজ্জা' হিসেবে আবার অনেকেই অভিযোগ করেন যে সিরিজের এই পর্বটিতে হিন্দুদের উপর শুধু নয়, এর মাধ্যমে ভারতের উপরেও আক্রমণ করা হয়েছে। প্রতারক, দেশদ্রোহী উল্লেখ করে তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন কেউ কেউ । টুইটারে একজন লিখেছেন, \"প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পাসপোর্ট বাতিল করা হোক। তাকে যেন ভারতে ঢুকতে দেওয়া না হয়...আপনি হলিউডে থাকুন এবং পাকিস্তানিদের জুতা চাটতে থাকুন।\" আবার অনেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পক্ষেও বলেছেন। তাদের অনেকে বলেছেন, এটা শুধু টেলিভিশনের একটি নাটক যার সাথে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই। \"এরকম একটি কাল্পনিক কাহিনীর জন্যে আপনি কেন ক্ষমা চাইছেন?\" প্রশ্ন করেছেন একজন টুইটার ব্যবহারকারী। দুঃখ প্রকাশের পরেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রতি কারো কারো ক্ষোভ একটুও কমেনি। তারা বলছে, \"আপনি কাহিনীটি পড়েছেন, রিহার্স করেছেন তারপর বহুদিন ধরে এটাতে অভিনয় করেছেন। তারপরেও এরকম ভুল হয় কীভাবে?\" আরো পড়তে পারেন: মাইল্ড স্ট্রোক সম্পর্কে যা জানা জরুরি এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ২০১৮: প্রধান ৮ দাবিদারের শক্তি ও দুর্বলতা এর আগেও সোশাল মিডিয়াতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে আক্রমণ করা হয়েছে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়, রাজধানী দিল্লিতেও এর প্রতিবাদে হিন্দু কট্টরপন্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। এই সিরিজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবিসি 'এরকম একটি জটিল রাজনৈতিক ইস্যুতে' কাহিনী তৈরি করার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তবে তারা এজন্যে মিস চোপরাকে আক্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, এই কাহিনী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেননি, এই পর্বটি পরিচালনাও করেন নি, সিরিজের কাহিনী তৈরির পেছনে তার কোন ভূমিকাও ছিলো না। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে এর আগেও ভক্তদের দিক থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। গত বছর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকের সময় তিনি এমন একটি কাপড় পরেছিলেন যাতে তার পা দেখা যাচ্ছিল। সোশাল মিডিয়াতে তখনও তাকে এজন্যে আক্রমণ করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি যে সম্প্রতি বাংলাদেশে মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিবির দেখতে গিয়েছিলেন তাতেও তার সমালোচনা করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারতীয় সিনেমায় অভিনয়ে সাফল্য অর্জন করার পর তিনি আন্তর্জাতিক সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ৫০টিরও বেশি ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।", "doc2": "Köynəkdə üzərindən xətt çəkilmiş \"miqrant\", \"qaçqın\" və \"gəlmə\" sözləri və adi qaydada yazılmış \"səyahətçi\" sözü əks olunur. Bundan sonra həm aktrisa, həm də Conde Nast \"verilmiş\" mesaja görə tənqid olunub, bəziləri deyib ki, qaçqın olmaq \"seçim deyildir\". Conde Nast BBC-ə deyib ki, onların məqsədi insanlara yarlıq vurulmasını işıqlandırmaq olub. Chopra Hindistanın NDTV xəbər kanalına deyib ki, \"İnciyənlərdən çox üzr istəyirəm. Həmişə yarlıq vurulmasına qarşı olmuşam. Mən çox zərər çəkmişəm və özümü pis hiss edirəm, amma mesajım yanlış anlaşılıb\". \"Jurnal bu cür etiketlərlə əlaqəli ksenofobiya məsələsinə dair mesaj vermək istəyirdi\", o əlavə edib. Bu ayın əvvəlində sosial şəbəkələrdə qəzəbə səbəb olmuş jurnalın üz qabığının fotoşəklini istifadəçilərin çoxu Suriyanın qaçqın böhranı fonunda uyğunsuz hesab edib."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47431701", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-47434445", "doc1": "ইয়াগো রেইদিজক ২৩ বছর বয়সে ১৫ বছরের শামীমা বেগমকে সিরিয়ায় বিয়ে করেছিলেন। আইএসের দখলকৃত এলাকায় শামীমা পৌঁছানোর কয়েকদিন পরই ইয়াগো রেইদিজক এবং শামীমার বিয়ে হয়। এর আগে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছিল, আইএসে যোগ দেবার কারণে শামীমা দেশটির নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। তার নাগরিকত্বের বিষয়ে যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের লেখা একটি চিঠি তার মায়ের কাছে ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে মেয়েকে জানানোর জন্য। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াগো রেইদিজক স্বীকার করেছেন, তিনি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চান। শামীমা বেগমের স্বামী ইয়াগো রেইদিজক ২৭ বছর বয়সী মি. রেইদিজক এখন উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় একটি কুর্দি বন্দি শিবিরে আটক আছেন। নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেলে আইএসে যোগ দেবার অপরাধে তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা কোয়েনটিন সামারভিলকে তিনি বলেছেন, তিনি আইএস ছেড়ে দিয়েছেন এবং তিনি দাবী করেছেন তিনি আগেও এই দল থেকে বের হয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন। মি. রেইদিজক জানিয়েছেন, ডাচ গোয়েন্দা হিসেবে সন্দেহ করে রাক্কায় আইএস তাকে বন্দি করেছিল এবং তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন 'আইএস বধূ' শামীমা বেগম সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমা দেশে ফিরতে চান ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত 'খেলাফতের' রাজধানী রাক্কায় এই গোষ্ঠীর পতনের পর, যখন উত্তর সিরিয়ার বাগুজেও এই গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী শামীমা এবং তার স্বামী শহর থেকে পালিয়ে যান। মি. রেইদিজক একদল সিরিয় যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আর শামীমা উত্তর সিরিয়ার আল-হাওল শরণার্থী শিবিরে আরো ৩৯ হাজার মানুষের সঙ্গে আশ্রয় নেন। শামীমা বেগম সেখানেই শামীমা একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। তবে এখন শামীমা সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মি. রেইদিজক বিবিসিকে বলেছেন, পনের বছরের একজন কিশোরীকে বিয়ে করার বিষয়টি তার কাছে 'ভুল' মনে হয়নি, কারণ এটি ছিল 'তার (শামীমার) সিদ্ধান্ত'। তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর। তবে শুরুতে বয়স কম বলে তিনি শামীমার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না বলে দাবী করেছেন। \"সত্যি বলতে, যখন আমার বন্ধুরা এসে বলেছিল যে রাক্কার নারী কেন্দ্রের এক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী, আমি সেসময় খুব একটা আগ্রহ দেখাইনি। কারণ তার বয়স খুবই কম, কিন্তু আমি পরে রাজি হই।\" \"আমি তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম, কিন্তু সে রাজি হয়নি। ফলে তখন আমরা বিয়ে করি।\" নাগরিকত্ব নিয়ে হৈচৈ এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে এক ব্রিটিশ দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চান, কিন্তু তার অতীত কর্মের জন্য তার কোন অনুতাপ নেই। এরপর থেকে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে দেশে ফেরত আসতে দেওয়া উচিৎ কিনা। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, যেহেতু শামীমা বেগমের বয়স ১৯ হয়েছে, তাই তিনি অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। সে কারণেই শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। যেহেতু শামীমার মা বাংলাদেশের নাগরিক, ফলে মায়ের দিক থেকে শামীমা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন এমন কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। এদিকে, মি. রেইদিজক নেদারল্যান্ডস সরকারের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছেন, কিন্তু তার নাগরিকত্ব বাতিল করেনি দেশটি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চীনে সিজারিয়ানের মাধ্যমে মা হওয়া কমছে যে কারণে তিনটি সেঞ্চুরি, তবু ইনিংস ব্যবধানে হারের যে চার কারণ পাকিস্তান থেকে যেভাবে পালিয়েছিলেন ৩ ভারতীয় পাইলট", "doc2": "Yago Riedijk 23 yaşında Suriyada 15 yaşlı Shamima Begum-la evlənib Yago Riedijk və Shamima Begum, özünü İslam Dövləti (İD) adlandıran qrupun nəzarət etdiyi ərazidə, Shamima ora gələndən bir neçə gün sonra evləniblər. BBC-yə danışan Yago Riedijk İD tərəfində döyüşdüyünü etiraf edib və deyib ki, indi arvadı və yeni doğulmuş oğlu ilə evə qayıtmaq istəyir. 27 yaşlı Yago Riedijk Suriyanın şimal-şərqində, kürdlərin nəzarət etdiyi əsir düşərgəsində saxlanılır. Hollandiyaya qayıdacağı təqdirdə, ona 6 illik həbs cəzası kəsilə bilər. BBC-yə müsahibəsində Riedijk deyib ki, o, İD-dən üz döndərib və bu qrupu tərk etməyə cəhd göstərib. Onun sözlərinə görə, o, Raqqa-da həbsdə saxlanılıb və ekstremistlər onu Hollandiya casusu olmaqda ittiham ediblər. Yago Riedijk-in və Shamima Begum-un körpə qızı, onlar İD-nin nəzarət etdiyi ərazidə yaşaqıları dövrdə acından ölüb. \"Ona deyin ki, mən onu sevirəm\" BBC-nin Yaxın Şərq müxbiri Quentin Sommerville O, kürdlərin nəzarət etdiyi əsir düşərgəsinin soyuq bir otağında qarşımda oturub. Nəzarətçilər onun buxovlanmış əllərini qandaldan təzəcə azad ediblər. O, məndən xahiş edir ki, Shamima-nı görsəm, ona deyim ki, əri onu sevir və gözləyir. \"Ümid edirəm ki, tezliklə yenidən bir yerdə olacağıq və hər şey qaydasına düşəcək\", - o deyir. Lakin bunun yaxın gələcəkdə baş verəcəyinə inanmaq çətindir. Hazırda 19 yaşı olan Şamima Begum yeni doğulmuş oğlu və İD döyüşçüsü olan ərilə Suriyanın şərqində İD \"xilafəti\" dağıldıqdan sonra bir qrup Suriya döyüşçüsünə təslim olublar. Yago Riedijk eləcə də BBC-yə deyib ki, 23 yaşında 15 yaşlı Shamima Begum-la evlənməkdə bir qəbahət görmür, çünki bu Shamimanın \"özünün seçimi olub\". Shamima Begum Londonun Gatwick aeroportunda - fevral 2015 Shamima Begum Britaniyanı 2015-ci ilin fevralında 15 yaşlı Amira Abase və 16 yaşlı Kadiza Sultana ilə birgə tərk edib. Güman olunduğuna görə, Kadiza Sultana 2018-cı ildə hava zərbəsi nəticəsində həlak olub. Britaniya höküməti Shamima Begum-u vətəndaşlıqdan məhrum edib. Britaniya DİN-i bildirb ki, Shamima Begum-un anası Banqladeş vətəndaşı olduğundan, ona Banqladeşdən vətəndaşlığı düşür. Lakin Banqladeş XİN-i bu iddianı sual altına alaraq vurğulayıb ki, Shamima Begum Banqladeş vətəndaşı deyil və ona Banqladeşə giriş üçün icazə verilməyəcək. Ötən ay Shamima Begum-un ailəsi Britaniya Daxili İşlər nazirinə bildirib ki, Shamima-nı vətəndaşlıqdan məhrum etmək qərarından məhkəməyə şikayət etmək niyyətindədirlər. BBC-nin gördüyü məktubda Shamima Begum-un bacısı Renu qeyd edib ki, ailəsi Shamimanı \"ata bilməz\" və onun təzəcə doğulmuş körpəsinin Britaniyaya gətirlməsinə kömək göstərmək xahiş olunub."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40239741", "doc2_url": "https://www.bbc.com/azeri/international-40240533", "doc1": "কাতারের রাজধানী দোহার একটি সুপারমার্কেট ইরানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সৌদি আরব-সহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ গত সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে। সৌদি আরব-সহ ওই দেশগুলোর অভিযোগ কাতার জঙ্গিবাদে মদত দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে - যদিও সেই অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত - কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির সব স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরান এয়ারের একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, \"এখনও পর্যন্ত আমাদের মোট পাঁচটি প্লেন ফলমূল ও তরিতরকারি নিয়ে কাতারে পৌঁছেছে। শিগগিরি আরও একটা প্লেন রসদপত্র নিয়ে রওনা দেবে।\" তবে এই সব খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে, না কি এটা কোনও বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশ - তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এএফপি আরও জানিয়েছে, ৩৫০ টন খাবারদাবার নিয়ে তিনটি জাহাজ নৌপথে শিগগিরি কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবে। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানগুলোর জন্য ইরান নিজেদের আকাশসীমাও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগে কাতারি বিমানগুলোর জন্য নিজেদের আকাশ বন্ধ করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য শিয়া-নেতৃত্বাধীন ইরান ও সুন্নি-নেতৃত্বাধীন সৌদির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে - তাই ওই পটভূমিতে ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতাই বর্তমান সংঘাতের একটা বড় কারণ। ফলে এখন কাতারে ইরানের এই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই তারা ধারণা করছেন। ওই অঞ্চলের আর একটি দেশ কুয়েত এই সঙ্কটে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে - গত সপ্তাহে তারা তাদের আমিরকেও সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: বশ্যতা স্বীকার করবে না কাতার, বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতার সংকট: আল জাজিরা কি টিকে থাকতে পারবে? কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করলেন ট্রাম্প কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য", "doc2": "Qətərin paytaxtı Dohada bir market Keçən həftə İranın regional rəqibi Səudiyyə Ərəbistanı daxil olmaqla bir çox ölkə Qətəri terroru maliyyələşdirməkdə ittiham edərək ölkə ilə əlaqələrini kəsiblər. Qətər ərzağın 40 faizini Səudiyyə Ərəbistanla quru sərhədindən alır. Lakin Səudiyyə Ərəbistanı artıq sərhədi bağlayıb. Eyni zamanda Qətər və qonşuları arasında vasitəçi olan Küveyt Qətərin digər ölkələrin narahatlıqlarını dinləməyə hazır olduğunu deyib. Həmçinin oxuyun: İran Air aviaşirkətinin sözçüsü Şahrox Nuşəbədi AFP xəbər agentliyinə bazar günü bildirib ki, \"İndiyədək Qətərə meyvə və tərəvəz kimi qida mallarını daşıyan 5 təyyarə göndərilib. Hər təyyarə təxminən 90 ton mal daşıyıb və bu gün başqa bir təyyarə də göndəriləcək\". Ərzağın sadəcə ticarətlə əldə edildiyi və ya yardım kimi göndərildiyi hələ ki, bilinmir. Cənab Nuşəbədi qida mallarının göndərilməsinin \"nə qədər ki, tələb var\" davam edəcəyini deyib. Təsnim xəbər agentliyin həmçinin 350 ton qida malları daşıyan gəmilərin tezliklə İrandan Qətərə ərzaq daşıyacağını bildirib. Digər körfəz ölkələri Qətərə hava məkanlarını bağladıqdan sonra, İran blokada edilən ölkəyə öz hava məkanını açıb. Siyasi ekspertlər bu addımların Qətərin şiə İranla müsbət əlaqələrinin Səudiyyə Ərəbistanla yaratdığı gərginliyi daha da alovlandırcağını deyirlər. Vasitəçi olaraq Küveyt əmiri keçən həftə Səudiyyə Ərəbistanına gedib. Küveytin xarici işlər naziri Şeyx Sabah əl-Xalid Qətərin \"təhlükəsizlik və sabitliyi gücləndirmək\" üçün \"qardaşlarının narahatlıqlarının reallığını anlamağa\" hazır olduğunu deyib. Birləşmiş Ərəb Əmirliklərinin (BƏƏ) xarici işlər üzrə dövlət naziri Ənvər Qarqaş tvitində yazıb: \"Bu hikmətin və məntiqli düşüncənin başlanğıcıdır? Mən buna ümid edirəm.\" Eyni zamanda Qətər ona qarşı tətbiq edilən blokada tədbirlərini Səudiyyə Ərəbistanı, BƏƏ və Bəhreynə qarşı cavab olaraq tətbiq etməyəcəyini bildirib. Hazırda Qətərdə bu üç ölkənin 11 min vətəndaşı var."}