{"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53872066", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53871624", "doc1": "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস জেনেভায় শুক্রবার তিনি বলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ''অবশ্যই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। '' ''কিন্তু একই সময়ে এটা দমন করার মতো প্রযুক্তি ও জ্ঞান আমাদের আছে,'' তিনি বলেন। এ ব্যাপারে জাতীয় সংহতি এবং বৈশ্বিক একতার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আটলাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ২৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় পাসোর্নাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি একে ' অপরাধ' বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। ''যেকোনো ধরণের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য,'' তিনি বলেছেন। ''তবে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি...আমার মতে এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড। কারণ স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি পিপিই ছাড়া কাজ করে, আমরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছি। সেই সঙ্গে যাদের তারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে।'' দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার তৈরি হলেও, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩,৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়", "doc2": "Dr Tedros ya ce dunƙulewar duniya wuri guda ya taimaka wa kwayar cutar yaɗuwa cikin hanzari Yayin da yake jawabi a Geneva ranar Juma'a, Tedros Adhanom Ghebreyesus ya ce an shafe shekara biyu kafin aka dakile annobar murar nan ta Spanish flu ta shekarar 1918. Amma ya ƙara da cewa ci gaban da aka samu a fagen fasahar zamani na iya ba duniya damar kawo ƙarshen cutar \"a ƙanƙanin lokaci.\" \"Saboda yadda sassan duniyarmu ke haɗe da juna, cutar ta sami damar bazuwa cikin sauƙi,\" inji shi. \"Amma duk da haka muna da fasahar dakatar da cutar, da kuma ilimin dakatar da ita,\" amma ya jaddada muhimmancin \"haɗa kai na ƙasa da ƙasa\". Annobar Spanish flu ta 1918 ta halaka a kalla mutum miliyan 50. Kawo yanzu annobar korona ta kashe kusan mutum dubu 800 baya ga mutum miliyan 22.7 da suka kamu da cutar. Dr Tedros ya amsa wata tambaya da aka yi ma sa kan rashawa kan batun samar da kayan samar wa ma'aikatan jinya kayan da ke kare su da kamuwa da cututtuka (PPE), wanda ya bayyana a matsayin \"babban laifi\". \"Irin wannan babban laifi ne da a gani na daidai yake da laifin kisa. Sabooda ma'aikacin da ba shi da kayan kariya na PPE na cikin hadarin rasa ransa ne. Duk da yake tambayar ta shafi Afirka ta Kudu ce, amma wasu ƙasashen ma sun fuskanci irin wannan matsalar ta badaƙƙalar kayan samar da kariya ga ma'aikatan jinya. Ranar Juma'a an yi wata zanga-zanga a Nairobi, babban birnin ƙasar Kenya kan yadda wasu jami'ai suka mayar da annobar hanyar samun abin duniya, kuma likitoci a asibitocin gwamnati sun fara yajin aiki saboda rashin biyansu albashinsu da ƙarancin kayan kariya. An yi zanga-zanga a Nairobi ranar Juma'a A Amurka, ɗan takarar muƙamin shugaban ƙasa a jam'iyyar Democrat Joe Biden ya caccaki Shugaba Trump kan yadda ya gaza magance matsalar annobar korona. \"Shugabanmu ya gaza bisa aikin da muka zabe shi ya yi. Ya gaza kare mu. Ya gaza kare Amurka,\" inji Mista Biden. An sanar da mutuwar fiye da mutum 1,000 a Amurka ranar Juma'a kawai, lamarin da ya kai yawan alƙaluman waɗanda suka mutu zuwa mutum 173,490."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42564973", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-42554945", "doc1": "মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন সহকারী সবসময় 'ফুটবল' নিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন কিন্তু তার কি আসলেই পারমানবিক বোমার কোন সুইচ আছে? একটি পরমাণু বোমা ছোড়া রিমোটে টিভির চ্যানেল পরিবর্তন করার মতো কোন সহজ কাজ নয়। অবাক ব্যাপার হলো, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে 'বিস্কুট' আর 'ফুটবলের' মতো বিষয়। তবে আক্ষরিক অর্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন পরমাণু বোমার সুইচ নেই। তাহলে তার কি আছে? ২০শে জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বারাক ওবামার সঙ্গে একটি কালো চামড়ার ব্রিফকেস নিয়ে একজন ব্যক্তিগত সহকারী প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই কালো ব্রিফকেসসহ মি. ট্রাম্পের সহকারী হয়ে যান। আরো পড়তে পারেন: বিকাশ ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন ১০ বিস্ফোরক তথ্য এই ব্রিফকেসটি 'নিউক্লিয়ার ফুটবল' নামে পরিচিত। পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে হলে এই ব্রিফকেসটি দরকার হবে। কখনোই এই 'ফুটবল' মার্কিন প্রেসিডেন্টের অদূরে থাকবে না। গত অগাস্টে একজন বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, যখন মি. ট্রাম্প গলফ খেলেন, তখনো এই 'ফুটবল' তার সঙ্গে পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। 'ফুটবলে'র মধ্যে কি আছে? কিন্তু কেউ যদি কখনো এই পরমাণু ফুটবলের ভেতরে উকি দেয়ার সুযোগ পান, তিনি হতাশ হবেন। কারণ সেখানে কোন সুইচ বা বোতাম নেই, কোন ঘড়ি নেই যেটা টিক টিক করে চলছে। সেখানে আছে কিছু যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, এবং কিছু বই যেখানে যুদ্ধের পরিকল্পনা আছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য এসব পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু 'বিস্কুটে'র মধ্যে কি আছে? 'বিস্কুট' হচ্ছে এমন কিছু কার্ড, যার মধ্যে কিছু গোপন কোড রয়েছে, যা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সবসময় থাকার কথা। এটা সবসময় 'ফুটবল' থেকে আলাদা থাকে। কখনো যদি প্রেসিডেন্ট কোন পরমাণু বোমা হামলার নির্দেশ দেন, এসব কোড দিয়ে তার নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একজন সাবেক সহকারী রবার্ট বাজ প্যাটারসন দাবি করেছেন, মি. ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একবার তার কোডগুলো হারিয়ে ফেলেন। তিনি এসব কোড অন্যসব ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে তার ট্রাউজারের পকেটে রাখতেন। মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে স্ক্যান্ডাল যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন মি. ক্লিনটন স্বীকার করেন যে, ওই কোডগুলো তিনি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না। কিভাবে প্রেসিডেন্ট পরমাণু বোমা হামলা করবেন? একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলা চালাতে পারেন। যখন তিনি নিজের পরিচয় নিশ্চিত করবেন, তিনি হামলা চালাতে জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেবেন। এরপর এই আদেশটি যাবে নেব্রাস্কায় ইউএস স্ট্যাটেজিক কমান্ড হেডকোয়ার্টারে। তারা সংশ্লিষ্ট হামলাকারী ইউনিটকে নির্দেশটি পাঠাবে। সেটা সাগর, স্থল বা পানির নীচের কোন সাবমেরিনও হতে পারে। সংকেতের মাধ্যমে হামলা চালানোর আদেশটি দেয়া হবে, যে সংকেতের একটি কপি ওই হামলাকারী ইউনিটেও সংরক্ষিত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশ কি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ। সংক্ষেপে, তিনি যা বলবেন, সেটাই হবে। কিন্তু সেখানেও কিছু ফাঁক রয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পরমাণু হামলার কর্তৃত্ব পরীক্ষা করে দেখেছে। কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইউএস স্ট্রাটেজিক কমান্ডের সাবেক প্রধান সি রবার্ট কেহলার বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্টে পরমাণু বোমা হামলার আদেশ অনুসরণ করবেন, যদি তা আইনসম্মত হয়। ''অন্য কোনরকম পরিস্থিতি দেখা দিলে, আমি হয়তো বলতে পারি যে, আদেশটি বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রস্তুত নই।''তিনি বলছেন। একজন সিনেটর তার কাছে জানতে চান, ''তখন কি হবে''? তার সরল উত্তর, ''আমি জানি না''। কংগ্রেস কমিটির সদস্য তখন হেসে ফেলেন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল কিসের ইঙ্গিত জাপানে চালের পিঠা খেয়ে কেন লোক মারা যায় বাংলাদেশে সব বিদেশি মাছেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক? মুসলিম তরুণের সঙ্গে দেখা করায় মেয়েদের উপর হামলা", "doc2": "Shugaban Amurka da na Koriya ta arewa sun koma suna cacar-baki tsakaninsu. Wannan dai ci gaban cacar-baki ne tsakanin shugabannin kasashen biyu da ke wa juna barazanar makaman nukiliya. Mista Trump ya mayar da martani ne ga kalaman da Mista Kim ya yi kan cewa makunnin nukiliyarsa yana kan teburinsa. Martanin na Trump dai ya ja hankali musamman a shafukan sada zumunta na intanet. Wannan na cikin jerin sakwannin da Trump ya wallafa a twitter a kwanan nan, inda ya sanar da lambar yabo ga gurbatattun kafafen yada labarai da kuma barazanar janye tallafi ga Falasdinawa saboda abin da ya kira rashin nuna godiya da mutuntawa. A cikin sakwannin kuma ya yabi kansa inda ya ce zamaninsa an samu karancin hatsarin jiragen sama. Masharhanta dai na ganin zabin kalaman shugabannin biyu wani salo ne na diflomasiya tsakaninsu. \"Ina ganin shugaban ya dauki wannan kamar wani abin nuna karfi ne,\" Kamar yadda Jim Himes dan majalisar dokoki a jam'iyyar democrat ya shaidawa CNN. Eliot A Cohen, tsohon mai ba Condoleezza Rice shawara ya ce akwai yarinta a sakon Trump, duk da cewa kuma kalamansa sun yi muni. Shugaban Koriya ta arewa Kim Jong-un ya ce makunnin nukiliyarsa yana kan teburinsa. Mutane da dama sun bukaci kamfanin twitter ya toshe duk wani sakon da ke kiran \"yakin nukiliya\" tare da haramta yada bayanin a shafinsa. Sai dai magoya bayan Trump sun kare shi, suna masu cewa kalaman shugaban sun yi daidai domin ya nuna karfin Amurka. Ko Trump zai iya danna makunnin? Shugaban Amurka dai yana da iko da makunnin nukiliya. Sai dai hanyoyin kaddamar da harin nukiliyar ba ya wani bukatar danna wani makunni. Bayan doguwar tuntuba, dole sai shugaban ya mika lambobin nukiliyar ga manyan jami'an soji. An buga lambobin ne a wani kati da ake kira \"biscuit\", wanda ke hannun shugaban a kullum. Ko Koriya ta arewa za ta iya danna makunninta? Koriya ta arewa na ikirarin tana da makamin nukiliya da za ta iya kai wa Amurka hari, amma duk da masana sun amince Pyongyang tana da makamin nukiliya, amma babu tabbas ko ta mallaki fasahar da za ta iya amfani da shi idan bukatar ta taso."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56230347", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/54638468", "doc1": "প্রতিবাদকারীরা ঢাল দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এটাই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। জাতিসংঘ বলছে,দেশজুড়ে বিক্ষোভের সময় আরো ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। ইয়াঙ্গন, বাগো ও দাওয়েই-এর মত অন্তত তিনটি শহরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সেখানেও বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টানগান ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানানোর পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অং সান সু চি-কে হটিয়ে সেনাবাহিনী ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনে দিনে এই প্রতিবাদের মাত্রা আরো তীব্র হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ফেসবুকের পর মিয়ানমারে ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারও বন্ধ করা হলো আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শনিবার থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে। তারা প্রচুর সংখ্যক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে। সোশাল মিডিয়াতে এসব বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে - যাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লাঠিপেটা করছে। ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসির একজন সাংবাদিক বলেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে আহত বেশ কিছু লোকের ছবি দেখেছেন।", "doc2": "Kungiyar ta ce bayanan da ta tattara sun tabbatar mata da cewa sojojin sun isa gurin da masu zanga-zanga suka taru a Lekki da misalin karfe 6:45 na yammacin ranar Talata, suka fara buɗe wa mutane wuta har zuwa karfe tara na dare. Mutanen da suka rasa ransu a lamarin sun hada da 'yan dabar da Amnesty ta ce ana zargin gwamnati ta ɗauko hayarsu don tarwatsa masu zanga-zanga, da 'yan ba ruwana, da kuma masu zanga-zangar 12. Kazalika Amnesty ta ce ta gano cewa an cire kyamarorin da aka tanada a wajen kafin ƙaddamar da wannan harin a kan mutanen da ta kira ''masu zanga-zangar lumana da ke neman gwamnati ta tashi tsaye don sauke nauyin da suka ɗora mata''. ''Buɗewa masu zanga-zangar lumana wuta babban laifi ne, na take hakkin jama'a, da 'yancinsu na fadin albarkacin baki da damar da suke da ita ta shirya taron lumana, waɗannan sojoji manufar su guda daya ce tak, su kashe'' in ji Osai Ojigho, daraktar kungiyar Amnesty International a Najeriya. Kungiyar ta yi kira da a gudanar da sahihin bincike don zaƙulo mutanen da ke da hannu a kisan masu zanga-zangar, domin su girbi abin da suka shuka. ''Wannan kisa da alama kisan kiyashi ne, don haka akwai bukatar fara bincike na gaggawa,'' in ji sanarwar da ƙungiyar ta aiko wa BBC. Amnesty ta ce daga fara zanga-zangar zuwa yanzu, an hallaka mutum 56 zuwa yanzu, sannan ta yi imanin cewa jami'an tsaro sun yi amfani da ƙarfin da ya wuce ƙima wajen shawo kan zanga-zangar da ake yi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47118309", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/47017765", "doc1": "নিকোলাস মাদুরো (বামে) ও হুয়ান গোয়াইদো কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার ভাষায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছেন, দেশে গৃহযুদ্ধ দেখা দেবার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিতে পারছেন না। দেশটিতে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেবার জন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলো প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে আট দিনের এক আলটিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু নিকোলাস মাদুরে এ আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সোমবার। এর পরই ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং ব্রিটেনের মতো প্রধান ইউরোপিয়ান দেশগুলো ঘোষণা করে যে তারা মি. গোয়াইদোকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তিনিই এখন নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ভেনেজুয়েলার গত নির্বাচনের মাধ্যমে মি. গোয়াইদো পার্লামেন্টের স্পিকার হয়েছেন, এবং সেই ভুমিকাই তাকে গণতান্ত্রিক বৈধতা দিয়েছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোঁ এর পরপরই মি. গোয়াইদোর প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন টুইটারে এক বার্তার মাধ্যমে। কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ বিরোধী নেতা হুয়ান গোয়াইদোকে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কয়েকটি ল্যাটিন আমেরিকান দেশও মি. গোয়াইদোকে সমর্থন দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন তিনি সামরিক হস্তক্ষেপ সহ সব বিকল্পই বিবেচনায় রাখছেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ইতিমধ্যে ভেনেজুয়েলায় জরুরি সাহায্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেবার কথা বলেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার দেশে তার ভাষায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের পাগলামি এবং আগ্রাসনের কারণে দেশটিতে এখন এক গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না। মি. মাদুরো এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই সংকটে যদি মি ট্রাম্প সামরিক হস্তক্ষেপ করেন তাহলে তাকে 'রক্তমাখা হাত নিয়ে' হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর সমর্থন এখনো মি. মাদুরোর পক্ষে মি. মাদুরোর ওপর চাপ বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু তিনি মনে করেন তার একজন মিত্র এখনো আছেন যার ওপর তিনি নির্ভর করতে পারেন। তিনি হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিন ইতিমধ্যেই ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে 'বিদেশী হস্তক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে। বিরোধী নেতা মি. গোয়াইদোর বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অবৈধ চেষ্টার অভিযোগ এনে রাশিয়া বলেছে যে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সহায়তা দিতে মস্কো প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে। রাজধানী কারাকাসে গণবিক্ষোভ ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় শনিবার মি মাদুরো পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেনাবাহিনীর দু-একজন অফিসার মি. গোয়াইদোর পক্ষে সমর্থন দিলেও বেশির ভাগ সেনা কর্মকর্তাই এখনো মি. মাদুরোর সমর্থক। কিন্তু মি গোয়াইদোও হাল ছাড়ছেন না। দু'পক্ষই নজর রাখছে - সেনাবাহিনী কার পক্ষ নেয়। মি মাদুরো ইতিমধে্ আইনসভার নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলছেন, বিরোধীদলের মার্কিন-সমর্থিত অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে, এবং নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই।", "doc2": "Shugaba Nicolas Maduro na Venezuela yana jawabi a birnin Caracas Bayan an shafe kwanaki ana zanga-zangar kin jinin gwamnati a Venezuela, saboda matsin tattalin arzikin da ya addabi kasar, Kwamitin Tsaro na Majalisar Dinkin Duniya ya gudanar da wani taron gaggawa kan batun, taron da kasar Amurka ta nemi a yi shi. Wannan na biyo bayan zaben shugaban kasa da aka yi ne da kasashe da dama suka ce ba a gudanar da shi bisa adalci ba. Sakataren harkokin waje na Amurka Mike Pompeo ya sanar da Majalisar Dinkin Duniya cewa lokaci ya yi da ya kamata a goyi bayan wani bangare a rikicin siyasar Venezuela. Sakataren ya ambaci shugan kasar Nicolas Maduro a matsayin wanda yayinsa ya shude: Ya ce tsohuwar gwamnatin Maduro ta dade tana cin zarafin al'ummar kasarta... A kokarin da suke yi na samun abinci da ruwa. Birtaniya da Faransa da Jamus da kuma Spaniya na cikin kasashen da suka bi sahun Amurka wajen amincewa da jagoran 'yan adawa na kasar Guaido a matsayin zababben shugaban kasar na wucin gadi, idan Maduro bai nemi a shirya sabon zabe ba acikin kwana takwas. Amma har yanzu Maduro na da sauran masu mara masa baya - musamman ma Rasha. Jakadanta a Majalisar Dinkin Duniya Vassily Nebenzia ya soki gwamnatin shugaba Trump - inda ya ce ta shirya juyin mulki ne kawai a Venezuela. Kwamitin Tsaro na MDD yana zama a kan batun Venezuela Shugaba Maduro da kansa ya ce dala miliyan 20 da Amurka ta yi alkawarin samar wa domin ayyukan taimakon jin kai ga sabuwar gwamnatin rikon kwarya \"yayi arha a matsayin lada ga masu son juyin mulkin\", kuma ministan harkokin waje na Venezuela ya yi watsi da bukatar ta kasashen Turai na a shirya wani sabon zabe a kasar nan da kwana takwas."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54351202", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-54356673", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন বিবিসি'র উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্থনি জারখারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই 'বিতর্ক' ঠিক কীরকম হতে যাচ্ছে তা আগে থেকেই অনেকটা পরিষ্কার ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল বাইডেনকে বিব্রত করা, যা নিশ্চিত করতে তিনি ক্রমাগত বাইডেনের কথার মধ্যে তাকে বাধা দিয়েছেন। এর ফলে ৯০ মিনিটের বিতর্কের মধ্যে বেশ কয়েকবার দু'জনের মধ্যে বচসা হয়েছে। ট্রাম্প যেমন প্রশ্ন তুলেছেন বাইডেনের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে, তেমনি বাইডেনও ট্রাম্পকে 'ক্লাউন' বলে কটাক্ষ করেছেন। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাইডেন প্রশ্ন করেন যে: \"তুমি কি চুপ করবে?\" বিতর্কের মধ্যে বাইডেনের কথা থামিয়ে দিয়ে বারবার তাকে বাধা দিয়েছেন ট্রাম্প, জবাবে একপর্যায়ে ডেমোক্র্যাট বাইডেনের স্মিত হাসির সাথে মাথা ঝাঁকিয়ে হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এমনকি এক পর্যায়ে বিতর্কের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস যখন দুই পক্ষকে করোনাভাইরাস নিয়ে আড়াই মিনিট করে বাধাহীনভাবে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, তখন বাইডেন ট্রাম্পের ক্রমাগত কথার মাঝখানে বিরক্ত করার প্রবণতাকে কটাক্ষ করে ফোঁড়ন কেটে বলেন: \"তার জন্য শুভকামনা।\" আরো পড়তে পারেন: দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান কী যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ৩রা নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রথমবার বিতর্কে দুই প্রার্থী করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ এই বিতর্কে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল এবং বিতর্কের শুরুর দিকেই এবিষয়ে আলোচনা হয়। করোনাভাইরাসে দুই লাখ মানুষ মারা যাওয়ায় ট্রাম্পের কাছ থেকে ব্যাখ্যা আশা করছিল মানুষ। তিনি অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই বলে যে তিনি পদক্ষেপ না নিলে আরো বহু মৃত্যু হতে পারতো এবং জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতো। এর জবাবে বাইডেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন করেন যে তারা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করেন কি না। দীর্ঘ সময় সরকারি দায়িত্বে থাকা জো বাইডেনকে বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, \"৪৭ মাসে (ক্ষমতায় থেকে) আমি যা করতে পেরেছি, আপনি ৪৭ বছরে তা পারেননি।\" বাইডেনের জবাব ছিল: \"এই প্রেসিডেন্টের অধীনে আমরা আরো দুর্বল, অসুস্থ, দরিদ্র ও বিভাজিত হয়েছি।\" নির্বাচনের ফলাফল মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেননি ট্রাম্প নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। ঐ অংশে বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী দুই পক্ষই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ট্রাম্পের আশঙ্কা ডাকের মাধ্যমে ভোট দেয়া হলে দুর্নীতির সুযোগ থেকে যায়। বাইডেন দাবি জানান, সবগুলো ব্যালট যেন গণনা করা হয় এবং নির্বাচনের ফলাফল সব পক্ষ যেনে মেনে নেন। শেষদিকে তিনি আরো কিছু বলতে চাইলেও ট্রাম্প তাকে আবারো বাধা দিলে সঞ্চালক ওয়ালেস বিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 'বিশৃঙ্খলাপূর্ণ' বিতর্ক সন্ধ্যার শেষটা অনেকটা হঠাৎ করেই হয়। আর এদিনের বিতর্কটা প্রথাগত কোন বিতর্কের মতও ছিল না। এই ধরণের অনুষ্ঠান সাধারণত নির্বাচনের ফলাফলে কোন ভূমিকা রাখে না। আর ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রথম বিতর্কটা যতটা গণ্ডগোল ও পাল্টা দোষারোপের মধ্যে শেষ হয়েছে, এর ফলে খুব বেশি মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনাও নেই।", "doc2": "A lokacin zazzafar muhawarar da aka kwashe minti 90 ana tafkawa, 'yan takarar biyu sun fafata kan kusan komai daga kan halin da tattalin arziki ke ciki zuwa yadda ake tunkarar cutar korona. Sashen bin diddigi na BBC Reality Check ya duba ikirarin da kowannensu ya yi, ya fito da gaskiyar kowanne kalami Trump: \"Mun samar da tattalin arziki fiye da kowanne lokaci a tarihi\" Amsa: Wannan ikirari ba gaskiya ba ne - an samu lokacin da tattalin arzikin Amurka ya yi bunkasar da ta fi wadda shugaban kasar ya fada. Kafin barkewar cutar korona, ShugabaTrump yayi ikirarin bunkasa tattalin arzikin da ba a taba yi ba a tarihin kasar. A baya tattalin arzikin Amurka ya bunkasa fiye da a zamanin Trump Gaskiya ne cewa tattalin arzikin Amurka yana bunkasa sosai kafin annobar korona - kuma hakan ci gaba ne daga abin da Gwamnatin Obama ta yi - sai dai akwai lokacin da tattalin arzikin ya fi bunkasa fiye da na wannan lokaci. Biden: \"Mu ne kasa ta 4 mafi yawan jama'a a duniya, [amma] muna da kashi 20 na yawan mace-mace\" Amsa: Wannan ikirarin yana da kamshin gaskiya. Amma idan muka kwatanta yawan wadanda suka mutu sakamakon cutar koronada yawan al'ummar kasa, akwai kasashe da dama da suka fi Amurka yawan wadanda suka mutu. Mr Biden ya soki Shugaba Trump kan rauninsa wajen tunkarar cutar ta korona. Alkaluman da aka bayyana sun nuna cewa ikirarinsa na da kamshin gaskiya. Al'ummar Amurka sun kai miliyan 328, wanda da kadan suka fi kashi 4 na yawan al'umar duniya biliyan 7.7. Alkaluman baya bayan nan da Jami'ar John Hopkins University ta fitar sun nuna cewa mutum 205,942 suka mutu sanadin kamuwa da cutar korona a Amurka. Kazalika mutum 1,004,808 a fadin duniya. Hakan na nufin, Amurka ce ke da kashi 20 cikin 100 na dukkan mace-macen da aka samu sanadin Covid-19 a duniya, kodayake kasashe sun sha bamban game da yaddda suke bayar da rahoton adadin masu kamuwa da cutar. Trump: Yin zabe ta hanyar aikewa da wasiku \"zai sa a yi magudin da ba a taba yi ba\" Amsa: Bincike bai nuna wata shaida cewa hakan yana haddasa magudin zabe ba, kodayake an samu magudin zaben a wasu wurare kalilan. Ana sa ran Amurkawa da dama za su yi zabe inda za su kada kuri'unsu ta aikewa da su ta gidan wasiku saboda kaucewa kamuwa da cutar korona. Shugaban kasar ya sha nanata cewa hakan zai haddasa magudin zabe. An samu wasu misalai kalilan da hakan ya faru a jihohin North Carolina da New Jersey. A watan Satumba, Ma'aikatar Shari'ar Amurka ta fitar da sanarwa a kan wani lamari da ya faru a Pennsylvania inda \" aka watsar da kuri'un sojoji tara\" kuma ta ce an kada bakwai daga cikinsu ne \"ga Donald Trump lokacin yana dan takara\". Amma duk da wannan bincike, wasu binciken da dama sun nuna babu wata babbar hujja da ke nuna an tafka gagarumin magudin zabe. Adadin matsalolin da ake fuskanta a zaben Amurka bai wuce kashi 0.00004 da 0.0009, a cewar wani bincike da cibiyar Brennan Center for Justice ta gudanar a 2017. Biden: \"Mutum miliyan [a Amurka] suna fama da matsalolin rashin lafiya\" Amsa: Babu wata tartibiyar amsa a kan wannan ikirari. 'Yan takarar sun yi musayar yawu kan yawan Amurkawa da ke fama da larurar rashin lafiya, wadda ka iya hana wasu daga cikinsu samun inshorar lafiya. Mr Biden ya ce akwai mutum miliyan 100 da ke fama da larurori na rashin lafiya, amma Shugaba Trump ya ce adadin sam ba haka yake ba.\" Mutum nawa ne suke fama da wadannan larurori? Babu wata tartibiyar amsa a kan hakan. A cewar ma'aikatar lafiyar Amurka, tsakanin mutum miliyan 50 da miliyan 129 Amurkawa wadanda ba tsofaffi ba suna fama da larura daya ko fiye da haka game da rashin lafiya. Sai dai wasu hukumomin sun bayyana alkaluma na daban. The Center for American Progress believes ta yi amannar cewa adadin ya fi haka, inda ta ce mutum miliyan 135 da ke kasa da shekara 65 ne suke fama da larurori na rashin lafiya. Trump: \" Nan da makonni kadan za mu samu riga-kafin korona\" Amsa: Babu wani \"tabbaci\" kan samun riga-kafin cutar kafin karshen watan Oktoba, kamar yadda babban mai bayar da shawara ga shugaban Amurka kan riga-kafi ya fada. Moncef Slaoui ya yi takatsantsan kan hakan a watan Satumba. A gefe guda, Dr Anthony Fauci, babban masani na kasar kan cutukan da ke yaduwa, ya yi hasashen cewa sai a watan Nuwamba ko Disamba ne Amurka za ta san ko za ta samar da riga-kafi maras matsala. Ya shaida wa wani Kwamitin Majalisar Dattawa a watan da muke ciki cewa watakila a samu riga-kafin da zai isa kowanne Ba'amurke nan da watan Afrilu mai zuwa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56748117", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/news/2013/02/130212_obama_amurka_soji", "doc1": "নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, সৈন্য প্রত্যাহার আরো কয়েক মাস বিলম্বিত হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়েছিল যে মে মাসের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এখন নতুন যে সময়সীমার কথা বলা হচ্ছে তার ঠিক ২০ বছর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র এবং পেন্টাগনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন ১লা মে তারিখের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নেটোর নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সৈন্য অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা আড়াই হাজার। গত দুই দশকের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারের মতো মার্কিন সৈন্য। যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটোর কর্মকর্তারা বলছেন, সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা পূরণ করতে পারেনি। এই খবরটি জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, তালেবানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে সৈন্য প্রত্যাহারের এই সময়কালে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালানো হলে \"শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তার জবাব দেওয়া হবে।\" তিনি বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে সেটা একটা ঝুঁকি তৈরি করবে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা \"সংঘাতের এই বইটি (অধ্যায়) এখনই বন্ধ করে দেওয়ার সময়।\" প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার নিজে এই ঘোষণা দেবেন বলে কথা রয়েছে। সন্দেহ নেই কুড়ি বছর আগে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর এখনকার আফগানিস্তান একেবারেই ভিন্ন এক দেশ। কিন্তু অনেকেই যেমন বলছেন যে সৈন্য প্রত্যাহারের পর দেশটি শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারে, তেমনি অনেকে আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে আফগানিস্তান আবারও সহিংসতায় নিপতিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, মার্কিন সতর্কতা একাধিক বিয়ে করে অর্থ নষ্ট করছে তালেবানরা, নড়েচড়ে বসছে শীর্ষ নেতা আফগান নারী সাংবাদিক যখন তালেবানের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর সৈন্যরা তালেবানের হামলার লক্ষ্য। কাবুলে ইন্সটিটিউট অফ ওয়ার এন্ড পিস স্টাডিজের নির্বাহী সভাপতি তামিম আসে সতর্ক করে দিয়েছেন, \"আশা করা যেতে পারে সৈন্য প্রত্যাহারের এই সময়সীমা ঘোষণার ফলে একটা রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে আফগান দলগুলোর ওপর চাপ তৈরি হবে অথবা সিরিয়ার মতো রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে।\" আফগানিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কেরমানি বলছেন, সেখানে অনেকেই মনে করেন যে এই সিদ্ধান্ত তালেবানকে চাঙ্গা করবে, যদিও এটি তালেবানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন। তিনি বলছেন, তারা যে মার্কিন সৈন্যদের ওপর এই অল্প সময়ের মধ্যে হামলা শুরু করবে সেই সম্ভাবনা কম। তার পরেও তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে গ্রহণ করেনি। \"আফগান সরকারের কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে নতুন বাইডেন প্রশাসন শান্তি প্রক্রিয়ায় আরো কিছু শর্ত বেঁধে দেবে। কিন্তু সেরকম কিছু করা হয়নি।\" তিনি বলছেন, \"আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে যে ধীর গতিতে শান্তি আলোচনা চলছে তাতে মনে হচ্ছে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আগে তাদের পক্ষে ক্ষমতা ভাগাভাগির কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো কঠিন হবে।\" \"তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন তালেবান হয়তো সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তার পরেই বিজয় অর্জন কিম্বা অন্তত আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাবে।\" সেকান্দার কেরমানি বলেন, তালেবানকে প্রতিহত করতে আফগান সরকার এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ওপর নির্ভরশীল। রাজধানী কাবুলে এরকম বহু হামলা চালিয়েছে তালেবান। এমাসের শেষের দিকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের বিষয়ে তুরস্কে যে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, তালেবান তাতে যোগ দেবে না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। তালেবানের একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম টুইট করে বলছেন, \"সব বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী কোনো সম্মেলনে আমরা অংশগ্রহণ করব না।\" যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নেটোর মিত্র দেশগুলোকে অবহিত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে তারা হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। গত ২০ বছরের এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজারেরও বেশি সৈন্য ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে চুক্তি সই হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো ১৪ মাসের মধ্যে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে যদি তালেবান হামলা না করার ব্যাপারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখে। একই সাথে তালেবানের পক্ষ থেকে তাদের হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দোহায় সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু এখনও কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সমঝোতার পর তালেবান আন্তর্জাতিক সৈন্যদের ওপর হামলা বন্ধ রাখলেও তারা আফগান সরকারের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। অবশ্য তালেবান গত মাসে হুমকি দিয়েছে যে ১লা মে থেকে যেসব বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করবে তাদের ওপর হামলা চালানো শুরু হবে। এই আশঙ্কাও আছে যে কার্যকর কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর আগে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে তালেবান ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে। আফগানিস্তানে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অক্টোবর ২০০১: যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে আক্রমণ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি ২০০৯: নেটোর সদস্য দেশগুলো আফগানিস্তানে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অঙ্গীকার করে। যুক্তরাষ্ট্র আরো ১৭ হাজার সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ডিসেম্বর ২০০৯: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন সৈন্য সংখ্যা আরো ৩০ হাজার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে মোট সৈন্য সংখ্যা দাঁড়াবে এক লাখ। তিনি বলেন ২০১১ সালের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হবে। অক্টোবর ২০১৪: যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন আফগানিস্তানে তাদের সরাসরি যুদ্ধ অবসানের কথা ঘোষণা করে। মার্চ ২০১৫: আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির অনুরোধের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা সৈন্য প্রত্যাহার বিলম্বিত করার কথা ঘোষণা করেন। অক্টোবর ২০১৫: প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা করেন ২০১৬ সালের শেষ পর্যন্ত ৯,৮০০ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। এর আগে তিনি এক হাজার সৈন্য রেখে বাকি সব সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জুলাই ২০১৬: প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, নিরাপত্তা-জনিত কারণে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৮,৪০০ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে থাকবে। নেটোও সৈন্য মোতায়েন রাখার বিষয়ে সম্মত হয়। অগাস্ট ২০১৭: তালেবানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। সেপ্টেম্বর ২০১৯: তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। ফেব্রুয়ারি ২০২০: কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর দোহায় তালেবানের সাথে সমঝোতা সই হয় যাতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।", "doc2": "Shugaba Barack Obama Shugaban ya bayyana hakan ne a jawabinsa na farko ga 'yan kasar tun bayan zaben da aka yi masa a wa'adi na biyu. Mista Obama ya ce tuni Amurka ta dawo da dakarunta guda dubu 33 gida daga Afghanistan, yana mai cewa a yanzu dakarun kasar za su rika taka rawa ce kawai a matsayin masu bayar da taimako ga sojojin Afghanistan. Jawabin Mista Obama ya tabo batutuwa da dama, wadanda suka shafi yadda za a gina tattalin arzikin Amurka. Ya ce Amurka za ta kammala kulla yarjejeniyar kasuwanci tsakanin ta da kasashen da ke nahiyar Asia. A cewarsa, hakan zai bayar da dama a bunkasa yadda Amurka ke fitar da kayayyaki kasashen waje sannan a samarwa 'yan kasar karin ayyukan yi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49833444", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51327004", "doc1": "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্য নেয়ার অভিযোগ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। অভিশংসন প্রক্রিয়া মানে এক অর্থে প্রেসিডেন্টকে কাঠগড়ায় দাড় করানো। যার ফলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা সম্ভব। কী তদন্ত করা হচ্ছে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ২০২০ সালের তার সবচেয়ে সম্ভাব্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করলে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জো বাইডেন সম্পর্কিত কোন ক্ষতিকর তথ্য তার বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর এমন তদন্তের চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হচ্ছে। একটি অনুষ্ঠানে বাবা জো বাইডেনের দিকে তাকেয়ে হান্টার বাইডেন। আরও পড়তে পারেন: একই র‍্যালিতে ট্রাম্প ও মোদী: পরস্পরকে ভূয়সী প্রশংসা 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' গ্রীনল্যান্ড বিতর্ক: ডেনমার্ক সফরে যাচ্ছেন না ট্রাম্প কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করছেন যে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জো বাইডেন ইউক্রেনকে একটি অপরাধ তদন্ত না করার ব্যাপারে চাপ দিয়েছিলেন। যে তদন্তে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা বের হয়ে আসতে পারে বলে সেটি তিনি ঠেকাতে চেয়েছিলেন। হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি ইউক্রেন ওলিগার্ক-এর বোর্ডে একজন সদস্য হিসেবে ছিলেন। যা থেকে বিবাদের শুরু এই বছরের জুলাইয়ের ২৫ তারিখ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপ হয়েছিলো। সেটি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলেছেন। আর তার পরই এই বিতর্ক সামনে আসে। এবছরের শুরুতে ক্ষমতা নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে ফোনকলটি শুরুর আগে মি. ট্রাম্প তার ভারপ্রাপ্ত দপ্তর প্রধানকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অন্তত এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বলেছেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। তবে তিনি বলছেন এর উদ্দেশ্য ছিল সেখানে ইউরোপের দেশগুলোকে সহায়তা বাড়াতে চাপ দেয়া। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেন প্রচুর পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে আসছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলছেন ওই ফোনালাপে জো বাইডেন সম্পর্কে কথা জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেন সম্পর্কে হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করলেও যে ধরনের আলাপ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সেটি অস্বীকার করেছেন। ক্রাইমিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেন প্রচুর পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে আসছে। তিনি বলেছেন, \"একটা চমৎকার আলাপ হয়েছে।\" তিনি বলেছেন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেয় যাতে করে দেশটি সততা বজায় রাখে। টুইটারে তিনি আরও সরাসরি বক্তব্য দিয়ে বলেছেন যে বিতর্ক হচ্ছে এটি পুরোটা ডেমোক্র্যাটদের একটা চাল। তিনি লিখেছেন, \"ভুয়া খবর ছড়ানো গণমাধ্যম বলছে আমি নাকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোনে কমপক্ষে আটবার চাপ দিয়েছি। যার কাছে থেকে এসব কথা এসেছে তিনি আলাপের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে পারেননি। এটি ডেমোক্র্যাট আর গণমাধ্যমের পাতানো চাল।\" গোয়েন্দা সংস্থার যে একজন এসব তথ্য \"ফাঁস\" করেছেন তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মি. ট্রাম্প। গোয়েন্দা সদস্যের অভিযোগের কী হল? অভিযোগ পাওয়ার পর সেটি গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভারপ্রাপ্ত জাতিয় পরিচালক জোসেফ ম্যাগুইয়ারকে জানান গোয়েন্দা সংস্থাটির মহাপরিদর্শক। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্র্যাটদের অভিশংসন তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিষয়টি খুব জরুরী বলে তার কাছে উল্লেখ করেন তিনি। দেশটির আইন অনুযায়ী কোন \"হুইসেলব্লোয়ার\" বা তথ্য ফাঁসকারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সাত দিনের মধ্যে কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে দিতে হবে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বরং মি. ম্যাগুইয়ার একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেন। নিউ ইয়র্কের টাইমস-এর ভাষ্যমতে ওই আইনজীবী বিষয়টি ততটা \"গুরুতর\" নয় বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর ফলে মি. ম্যাগুইয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিষয়টি কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে তোলার মতো নয়। এক পর্যায়ে ৯ সেপ্টেম্বর সেটি উল্লেখ করলেও কমিটিকে বিস্তারিত তিনি বলেননি। যদিও ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের ওই ফোনালাপের বিস্তারিত জানার জন্য কমিটির সামনে হট্টগোল করেছিলেন। শুরুতে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো। তবে পরে মি. ট্রাম্প পুরো কথাবার্তা প্রকাশ করার ব্যাপারে অনুমোদন দেন। ডেমোক্র্যাটরা বেশ কিছুদিন যাবত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ট্রাম্প কী তাহলে অভিশংসন করার মতো অবৈধ কিছু করেছেন? এই পুরো ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় হল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, তার সম্পর্কে নোংরা তথ্য খুঁজতে বিদেশী একজন নেতাকে চাপ দেয়ার অভিযোগ। মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন। এর আগের নির্বাচনে জেতার জন্য \"রাশিয়ার সাথে আঁতাত\" করেছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছিলো সেই ঘটনাটিকে এখানে অবশ্যই মনে করিয়ে দিচ্ছে নতুন এই অভিযোগ। রাশিয়ার সাথে আঁতাত প্রসঙ্গে দুই বছর ধরে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলেছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারণা বিষয়ক কর্মকর্তা ও তার ছেলের সাথে কয়েকজন রাশিয়ানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্তে বিস্তারিত উঠে এসেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়নি। মার্কিন বিচার বিভাগের গাইডলাইন অনুযায়ী বর্তমান কোন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোন অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা যাবে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারকে একসাথে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালের একটি বাস্কেটবল ম্যাচে। তাহলে অভিশংসনের ঝুঁকি কতটা? যদি অভিশংসনের উদ্যোগ সামনে এগোয় তাহলে সেটি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের জন্য যাবে। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই সেটি সেখানে ভোটে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই পাশ করার সম্ভাবনা। কিন্তু এর পরের ধাপ হল বিষয়টি সিনেটে যাবে যেখানে ভোটে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরাই অনেক বেশি প্রভাবশালী। রিপাবলিকানরা সিনেটে তাদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন এমন কোন ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন সংবিধানে অভিশংসন যোগ্য অপরাধ হল \"দেশদ্রোহিতা, ঘুষ আদান প্রদান এবং কোন ধরনের শক্তিশালী অপরাধ।\" সব মিলিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্পের সাথে তাদের আঁতাত নিয়ে নাটক হয়েছিলো তার পুনরাবৃত্তি সম্ভবত আবারো হতে যাচ্ছে সামনের নির্বাচনকে ঘিরে। তবে সেসময় মি. ট্রাম্প একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। আর এবার তিনি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ অভিশংসন হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিদদের বক্তব্য কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, তথ্য ফাঁসকারী যে অভিযোগ এনেছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বিদেশী নেতাদের সাথে কিভাবে কাজ কারবার করেন। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, ইউক্রেনকে তদন্তে চাপ দিয়ে হান্টার বাইডেন সম্পর্কে নোংরা তথ্য বের করে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে সেটি ট্রাম্প ব্যবহার করতে চেয়েছেন। রিপাবলিকানরা এই বিষয়ে তেমন কিছু বলছেন না। তবে একজন রিপাবলিকান, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনেটর মিট রমনি বলছেন, \"সঠিক তথ্য বের হয়ে আসা খুব জরুরী।\"", "doc2": "Lamar Alexander ya ce babu bukatar karin shaidu da za su tabbatar shugaban bai aikata laifin da za a iya tsige shi ba Sun bukaci 'yan Republican hudu su mara masu baya, a kara bai wa wani shaida damar bayar da bayanai, amma daya daga cikin sanatocin da a baya yake inda-inda ya ce yanzu ba zai mara masu baya ba. Lamar Alexander ya ce babu bukatar karin shaidu da za su tabbatar shugaban bai aikata laifin da za a iya tsige shi ba. 'Yan Democrat sun so musamman su ji daga bakin tsohon mai bai wa Shugaba Trump shawara kan harkokin tsaro, John Bolton. Rahotanni sun bayyana cewa ya ce shugaban ya taba gaya masa baki da baki cewa ya dakatar da bai wa Ukraine agajin soji har sai ta amince ta yi bincike kan abokin hamyyarsa, Joe Biden. Tsige Trump: Wace barazna ke akwai?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55657485", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55656638", "doc1": "হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার নিজের দল রিপাবলিকান এর ১০ জন সদস্য ট্রাম্পের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে তাকে অভিশংসিত করে। ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ২৩২ ভোট এবং বিপক্ষে ১৯৭ ভোট পড়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি দুই বার অভিশংসিত হয়েছেন এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যাকে অপরাধ সংগঠনে জড়িত থাকার কারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মি. ট্রাম্প যিনি নিজেও একজন রিপাবলিকান, তিনি এখন সেনেটে বিচারের সম্মুখীন হবেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আবারো ক্ষমতায় আসার সুযোগ চিরতরে হারাতে পারেন। তবে তার মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও তাকে এখনই হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হচ্ছে না। কারণ এই সময়ের মধ্যে সেনেট আবার গঠন করা সম্ভব নয়। গত নভেম্বরে জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আগামী ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়তে হবে তাকে। আরো পড়ুন: বুধবার অভিশংসনের ভোট হওয়ার আগে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসে। সেসময় ক্যাপিটলের ভেতরে এবং বাইরে ন্যাশনাল গার্ডের সশস্ত্র সেনারা পাহারা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে মি. বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবকটিতে সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে বলে ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই সতর্ক করেছে। কংগ্রেসে ভোটের পর প্রকাশিত এক ভিডিওতে মি. ট্রাম্প তার অনুসারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি যে অভিশংসিত হয়েছেন সেই বিষয়টি উল্লেখ করেননি। \"সহিংসতা এবং ভাঙচুরের কোন জায়গা নেই আমাদের দেশে...আমার সত্যিকারের কোন সমর্থক কখনোই রাজনৈতিক সহিংসতাকে সমর্থন দেবে না,\" খানিকটা মলিন এবং শান্ত কণ্ঠে তিনি এসব বলেন। প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্প ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কী? অভিশংসনের অভিযোগ মূলত রাজনৈতিক, অপরাধমূলক নয়। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, ৬ই জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের বাইরে তিনি তার ভাষণের মাধ্যমে ক্যাপিটলে হঠাৎ হামলার মাধ্যমে দখলে নেয়ার ঘটনায় উস্কানি দিয়েছেন। তিনি তার সমর্থকদেরকে \"শান্তিপূর্ণভাবে এবং দেশপ্রেমের সাথে\" নিজেদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সাথে যে নির্বাচন তার ভাষায় \"কারচুপির শিকার হয়েছে\" তার বিরুদ্ধে \"ভয়ংকর লড়াইয়ের\"ও আহ্বান জানিয়েছিলেন। মি. ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের জের ধরে তার সমর্থকরা ক্যাপিটলে জোর করে ঢুকে পড়ে, আইনপ্রণেতাদের অধিবেশন ও নির্বাচনের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য করে। পুরো ভবনে লকডাউন দেয়া হয় এবং এ ঘটনায় পাঁচ জন মারা যায়। অভিশংসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মি. ট্রাম্প \"বারবার মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে এটা প্রতীয়মান করার চেষ্টা করেছেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়\"। এতে বলা হয়, এরপর তিনি বার বার একই দাবি তুলেছেন এবং \"ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের সামনে বলে তাদেরকে উৎসাহিত করেছেন এবং এর কারণেই ক্যাপিটলে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে\" যা সহিংসতা এবং প্রাণহানিতে রূপ নিয়েছে। \"প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চরমভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরকে বাধাগ্রস্ত করেছেন এবং সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।\" গত সপ্তাহে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল এবং ট্রাম্পের হারকে মেনে নেয়ার বিপক্ষে ১৩৯ জন রিপাবলিকান ভোট দিয়েছেন। বিতর্কে আইনপ্রণেতারা কী বলেছেন? আইনপ্রণেতারা সেই একই চেম্বারে বসে ভোটের পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক করেছেন যেখানে গত সপ্তাহে দাঙ্গাকারীদের প্রবেশের মুখে গ্যাস মাস্ক পরে তারা চেয়ার নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি হাউস ফ্লোরে বলেন: \"যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই সহিংস উত্থানকে উস্কে দিয়েছেন, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এই সশস্ত্র বিদ্রোহকে উৎসাহ দিয়েছেন।\" \"তিনি অবশ্যই যাবেন। আমাদের ভালবাসার দেশের প্রতি তিনি স্পষ্ট এবং চলমান হুমকি।\" ওহাইয়ো রাজ্যের রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিম জর্ডান ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জুলিয়ান ক্যাস্ট্রো মি. ট্রাম্পকে \"ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে\" উল্লেখ করেছেন। বেশিরভাগ রিপাবলিকানই মি. ট্রাম্পের বক্তব্যের পক্ষে কোন সাফাই দেননি। এর পরিবর্তে তারা বলেছেন যে, অভিশংসনের প্রস্তাব প্রথাগত শুনানি ছাড়াই উত্থাপিত হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য এটিকে বাদ দিতে ডেমোক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। \"এতো কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করাটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে,\" বলেন হাউসের শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি। \"তার মানে এই নয় যে প্রেসিডেন্টের কোন দোষ নেই। বুধবার কংগ্রেসের উপর দাঙ্গাকারীদের হামলার দায় প্রেসিডেন্টকে বহন করতে হবে।\" ওহাইয়ো রাজ্যের রিপাবলিকান জিম জর্ডান ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে দেশকে বেপরোয়াভাবে রাজনৈতিক বিভাজনের দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ তোলেন। \"সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে নামাতে হবে\" বলেন মি. জর্ডান। \"যাই হোক না কেন, প্রেসিডেন্টকে সরাতে হবে। এটা একটা ঘোর হয়ে দাঁড়িয়েছে।\" প্রেসিডেন্টের দলের মধ্য থেকে যারা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন থার্ড-র‍্যাংকিং হাউস রিপাবলিকান লিজ চেনি। ওয়াইওমিং এর এই রিপ্রেজেন্টেটিভ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে। তিনি ক্যাপিটলের দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে বলেন, \"এর আগে কোন প্রেসিডেন্ট এতো বড় বেইমানি করেনি।\" পরবর্তী পদক্ষেপ কী? অভিশংসনের আর্টিকেলটি সেনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্ট দোষী কিনা তার বিচার অনুষ্ঠিত হবে। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে। তার মানে হচ্ছে ১০০ আসনের উচ্চ কক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানকে ডেমোক্রেটদের পক্ষে ভোট দিতে হবে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, কম করে হলেও ২০ জন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিচার চায়। মি. ট্রাম্প যদি সেনেটে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আইনপ্রণেতারা চাইলে আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত করতে পারেন যা তাকে ২০২৪ সালে আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথকে বন্ধ করে দেবে। তবে এই বিচার কাজ মি. ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থাৎ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে না। এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান সেনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন: \"সব নিয়ম, প্রক্রিয়া এবং সেনেট যেখানে প্রেসিডেন্টের বিচার অনুষ্ঠিত হবে তার নজির অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট বাইডেন শপথ নেয়ার আগে একটি নিরপেক্ষ বা গুরুতর বিচার কোনভাবেই অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হবে না।\" তিনি বলেন, এর চেয়ে যদি বাইডেন প্রশাসনের জন্য একটি শান্তি ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সেটিই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। মি. ম্যাককনেল তার সহকর্মীদের এক নোটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি কিভাবে ভোট দেবেন সেটি এখনো ঠিক হয়নি। এখনো পর্যন্ত কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হননি। ২০১৯ সালে হাউসে অভিশংসিত হয়েছিলেন মি. ট্রাম্প। কিন্তু সেনেটে পার পেয়ে যান তিনি। একই ধরণের ঘটনা ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনের সাথে এবং ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসনের সাথে ঘটেছিল।", "doc2": "Shi ne shugaban kasar na farko a tarihin Amurka da aka taba tsige wa daga mukamin shugaban ƙasa har sau biyu - wanda kuma majalisar za ta yi wa shari'a a karo na biyu. Mista Trump dan jam'iyyar Republican zai fuskanci wata shari'a a majalisar dattawan ƙasar, wanda idan ta same shi da laifi zai iya rasa damar sake neman ko wane mukami na tsawon rayuwarsa. Yawancin 'yan majalisar wakilan sun bi sahun jam'iyyarsu ne wajen kada ƙuri'ar tsige shugaba, inda aka tsige shi da ƙuri'u 232, su kuma waɗanda su ka ki goyon bayan a tsige shi aka sami ƙuri'u 197. Ranar 20 ga watan Janairun nan Mista Trump zai bar ofis bayan da ya sha kaye a hannun Joe Biden a zaben watan Nuwamba. An dai shafe sa'o'i ana tafka muhawara kafin 'yan majalisar su ka ƙada kuri'ar tsige shugaban. 'Yan majalisa 10 daga jam'iyyar Republican mai mulkin kasar sun goyi bayan takwarorinsu na Democrat wajen kaɗa ƙuri'ar tsige Mista Trump. Sai dai da wuya a dauki mataki kan Mista Trump gabanin saukarsa daga mulki nan da mako guda saboda Majalisar Dattawa na hutu kuma ba a sa ran za ta dawo domin duba batun. A makon jiya 'yan majalisa daga jam'iyyar Republican su 139 su ka kaɗa kuri'ar amincewa da sakamakon zaben shugaban ƙasa na 2020 da kuma shan kayen da Mista Trump ya yi. Mene ne zai faru nan gaba? Nancy Pelosi ta bayyana Trump a matsayin shugaban da ba shi da kunya Za a aike da takardar tsige shugaban kasar zuwa majalisar dattawa, wadda za ta gudanar da zama domin yanke hukunci kan ko shugaban yana da laifi. Ana bukatar kashi biyu cikin uku na 'yan majalisar dattawa su amince da batun kafin a hukunta Mr Trump, ma'ana dole akalla 'yan Republicans 17 su bi sahun dukkan 'yan Democrats a majalisar. Ranar Talata jaridar New York Times ta rawaito cewa 'yan majalisar dattawa 20 na jam'iyyar Republicans sun amince su hukunta shugaban kasar. Idan majalisar dattawa ta samu Mr Trump da laifi, mai yiwuwa 'yan majalisar su sake kada kuri'a da za ta hana shi sake tsayawa takara - duk da yake ya nuna alamar yin hakan a 2024. Sai dai ba za a yi wannan hukunci a wa'adin da ya ragewa Mr Trump na mako daya a kan mulki ba. Shugaban masu rinjaye na jam'iyyar Republican a majalisar dattawa Mitch McConnell ya fitar da wata sanara da ke cewa: \"Idan aka yi la'akari da dokoki da tsare-tsare da kuma abubuwan da suka faru a majalisar dattawa a baya game da batun tsige shugaban kasa, babu wata dama da ta nuna cewa za a kammala yanke hukunci cikin adalci ko kuma bisa muhimmanci tkafin zababben shugaban kasa Bidenya sha rantsuwar kama aiki a mako gobe.\" Ya kara da cewa babban abin da majalisun dokoki suka kamata su yi shi ne su mayar da hankali wurin ganin an mika mulki cikin kwanciyar hankali ga gwamnatin Mr Biden. inauguration. Babu shugaban kasar Amurkan da aka taba cirewa daga mulki ta hanyar tsigewa. Majalisar wakilai ta tsige Mr Trump a 2019 bisa alakarsa da Ukraine, amma majalisar dattawa ta wanke shi. Haka ma abin yake ga tsofaffin shugabanni Bill Clinton a 1998 da Andrew Johnson a 1868."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52596850", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52619521", "doc1": "বৃহস্পতি গ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড থেকে এসব ছবি পাওয়া গেছে। পৃথিবীতে থেকে বৃহস্পতি গ্রহের তোলা এটাই সবচেয়ে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ। গ্রহটির ছবির এই রেজোল্যুশন পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা ' লাকি ইমেজিং' নামের একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা পৃথিবীর অশান্ত বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে দেখার সময় যে ঝাপসা ভাবটি আসে, সেটা দূর করে দেয়। এই কৌশলে লক্ষ্যবস্তুর একাধিক ছবি তোলা হয় এবং যে ছবিগুলোর মান সবচেয়ে ভালো হয়, শুধুমাত্র সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়। যখন এরকম সবগুলো 'লাকি শটস' একত্র করা হয়, তখন শুধুমাত্র একটি ছবির তুলনায় অনেক বেশি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া সম্ভব হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লকডাউন ভেঙে পড়ায় সরকারের সামনে এখন উপায় কী? হ্যান্ডশেকের যুগ কি শেষ হতে চলেছে, এর বিকল্প কী হতে পারে? ২০১৯ সালের মহাকাশের সেরা কিছু ছবি করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? হাবল টেলিস্কোপের মতো টেলিস্কোপগুলো যতটা আলোক তরঙ্গ শনাক্ত করতে পারে, ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ তার চেয়ে দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শনাক্ত করতে পারে। মেঘাছন্ন এবং কুয়াশায় ভরা বৃহস্পতি গ্রহের বায়ুমণ্ডলের শীর্ষস্তর দেখতে এটি অতীতে ব্যবহৃত হতো। যা দিয়ে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির অভ্যন্তর বোঝার চেষ্টা করতেন। বিজ্ঞানীরা আরো পরিষ্কারভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন যে, এই গ্রহটির বিশাল গ্যাসস্তর নির্ভর আবহাওয়া কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং টিকে রয়েছে। বিশেষ করে কয়েক দশক, এমনকি শতাব্দী জুড়ে কীভাবে সেখানকার দুর্দান্ত ঝড়গুলো অব্যাহত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণার অংশ হিসাবে এই ইনফ্রারেড ছবিগুলো পাওয়া গেছে। এটি এটি যৌথ গবেষণা কর্মসূচীর অংশ যেখানে হাবল টেলিস্কোপের পাশাপাশি জুনো মহাকাশযান সম্পৃক্ত রয়েছে, যেটি সৌরমণ্ডলের এই পঞ্চম গ্রহটি ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। বৃহস্পতিগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় ১১গুণ প্রশস্ত এবং তিনশো গুণ বেশি বড়। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এটি পৃথিবীর হিসাবে ১২ বছর সময় লাগে এবং এর এটির একেকটি 'দিন' ১০ ঘণ্টার । গঠন প্রণালীতের নক্ষত্রের সঙ্গে এর মিল রয়েছে, এটি বেশিরভাগ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে তৈরি। চাপের কারণে হাইড্রোজেন ধাতুর মতো হয়ে রয়েছে বলে মনে করা হয় । এই ধাতুর মতো হাইড্রোজেন সেখানকার চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের উৎস হতে পারে । গ্রহটিতে দেখতে পাওয়া মেঘের উপরের স্তরে অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন সালফাইড রয়েছে। বৃহস্পতিগ্রহের নিম্ন-অক্ষাংশের 'অঞ্চল' পূর্ব-পশ্চিম বাতাস তৈরি করে। গ্রহটিতে যে বিশাল লাল বিন্দু দেখা যায়, সেটা হলো বিশাল ঝড় ভরটেক্স, যা পৃথিবীর চেয়ে বেশি প্রশস্ত বৃহস্পতিগ্রহের যে ছবি আপনি আগে কখনো দেখেন নি", "doc2": "Masana su shafe shekaru daruruwa kafin su iya samar da zanen hoton duniyar Jupiter da aka samar da zanen bakin wuta Kamfanin Gemini North Telescope mai sanya ido kan taurari ne ya dauki hoton a Hawaii, wanda wannan ne sanya ido ne mafi daidai da aka yi a duniya da aka taba yi tun daga tushe. Domin cimma wannan buri na dauko hoton, masana kimiyya sun yi amfani da wata dabara da ake kira \"lucky imaging\" wanda ya nuna yadda duniyar take cikin yanayin dishi-dishi. Wannan hanyar ta hadar da samar da kariya daga abin da aka hara tare da tarrara bangarorin hoton inda iska ke matsakaiciyar kadawa. Yayin da aka dauki duka hotunan an hada su waje daya cikin wani zane, wanda ya samar da wani abu da ya fi hoto guda daya. Hoton da aka dauka na zanen duniyar, ya fi irin wanda aka saba gani na (Hubble telescope) taurari tsayi. Ana iya ganin wucewar hazo da kuma 'yan kanan giza-gizai a saman duniyar ta Jupiter, wanda zai bai wa masana kimiyya damar zurfafa bincike kan yadda cikin duniyar yake. Masu bincike na son kara fahimtar mene ne ke samar da tsarin yanayin a duniyar, kuma takamaimai doguwar guguwar da ake samu da takan kai shekara 20 zuwa 100. Cibiyar California da ke Berkeley ce ta jagoranci wannan binciken da ya samar da hoton zanen bakin wutar. Kuma wani bangare ne na wani shirin hadin gwiwa da ya hadar da Hubble da kuma Juno masu bibiyar sararin samaniya wadanda yanzu haka ke bibiyar duniya ta biyar daga rana. Abin da za mu sani game da duniyar Jupiter Jonathan.Amos-INTERNET@bbc.co.uk and follow me on Twitter: @BBCAmos"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51688299", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51689468", "doc1": "২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই বলেন যে, আমেরিকার দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করে সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী তিনি। তাই বিবিসি রিয়েলিটি চেক দেখতে চেষ্টা করেছে যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে কী পরিমাণ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কী ধরণের বাহিনী পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র? তালেবানদের উৎখাত করতে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানায়, তালেবানরা ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য আল-কায়েদা নেতাদের লালন করেছে যারা ৯/১১ এর হামলার সাথে জড়িত ছিল। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের সংখ্যা বাড়ে কারণ ওয়াশিংটন তালেবানদের অভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য এবং তহবিল পুনর্গঠনের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে। মার্কিন সরকারের হিসাব বলছে, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশটিতে এক লাখ মার্কিন সেনা ছিল, যার কারণে বছরে যুদ্ধের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের লক্ষ্য সরাসরি সামরিক অভিযান থেকে সরিয়ে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণে বেশি মনোনিবেশ করার পর ব্যয় বেশ কমে আসে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে বার্ষিক ব্যয় নেমে দাঁড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে জানা যায়, এ বছর ব্যয় হয়েছে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। আফগান সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে মার্কিন সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাব মতে, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যয় হয়েছে ৭৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সাথে, মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে মিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ধরণের পুননির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে ২০০১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। কিন্তু এতে পাকিস্তানে যে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব ধরা হয়নি যাকে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির যুদ্ধ প্রকল্পের ব্যয় বা কষ্ট অব ওয়্যার প্রজেক্ট নামে এক স্বতন্ত্র গবেষণায় দাবি করা হয়, আফগান যুদ্ধে ব্যয়ের যে সরকারি হিসাব দেখানো হয়েছে তা যথেষ্ট কম দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের জন্য কংগ্রেস এক ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ তহবিল অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের সহ-পরিচালক নেটা ক্রফোর্ড বলেন, \"এই ব্যয়ের মধ্যে যুদ্ধ ফেরত সেনাদের জন্য করা ব্যয়, যুদ্ধ সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে অর্থায়নের জন্য নেয়া ঋণের সুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।\" এসব কিছু যোগ করা হলে ব্যয় অন্তত দুই ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে, তিনি বলেন। অর্থ কোথায় ব্যয় করা হয়েছে? বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে এবং মার্কিন সেনাদের জন্য বিভিন্ন ব্যয় যেমন খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসা সেবা, বিশেষ ভাতা এবং অন্য সুবিধার যোগান দিতে। সরকারি তথ্যে দেখা যায়, গত ১৭ বছরে আফগানিস্তানে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার ১৬ শতাংশ বা প্রায় ১৩৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে পুননির্মাণ প্রচেষ্টায়। এবং এর অর্ধেক ব্যয় করা হয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বাহিনী যেমন আফগান জাতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠনে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য এই দীর্ঘ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। বাকি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে মূলত শাসন এবং অবকাঠামো বিনির্মাণ, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা এবং মাদক বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণে। ২০০২ সাল থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদক বিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গড়ে দিনে ১.৫ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি এলাকা জুড়ে আফিমের পপি চাষ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে, পুনর্নির্মাণ প্রকল্প পর্যবেক্ষন করে এমন মার্কিন সংস্থাসমূহ বলছে, গত ১১ বছরে ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নষ্ট হয়েছে, \"অপচয়, জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের কারণে\"। তবে এই সংখ্যাটিও অপচয় হওয়া অর্থের \"একটি অংশ মাত্র\" বলে উল্লেখ করেছে তারা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ \"প্রায় ক্ষেত্রেই সংঘাত বাড়িয়েছে, দুর্নীতির জন্ম দিয়েছে এবং জঙ্গিবাদে সমর্থন জুগিয়েছে।\" মানব ব্যয় বা প্রাণহানির ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতি হয়েছে? ২০০১ সালে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর ২৩০০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে এবং ২০,৬৬০ সেনা আহত হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ আফগানিস্তানে ছিল প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন সেনা। কিন্তু প্রায় ১১ হাজার মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে থেকে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেছে। আফগান সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার তুলনায় মার্কিন সেনাদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। প্রেসিডেন্ট ঘানি গত বছর বলেন, ২০১৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করার মিস্টার ঘানির এই সিদ্ধান্ত কিছুটা অস্বাভাবিক, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান সরকার সাধারণত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে না। যাই হোক, কিছু সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে, গত কয়েক বছরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ জন নিহত হয় বলে জানানো হয়। আফগানিস্তানে থাকা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশন অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান বা উনামা বলছে, ২০০৯ সালে তারা হিসাব শুরু করার পর এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।", "doc2": "Akwai sauran dakarun Amurka guda 12,000 a Afghanistan inda aka shafe shekara 18 ana gwabza yaki Amurka da kungiyar tsaro ta Nato sun amince su kwashe sojojin da suka jibge a Afghanistan idan har kungiyar Taliban bata saba wa yarjejeniyar da aka kulla da ita ba. Wata sanarwar hadin gwiwar da gwamnatocin Amurka da Afghanistan suka fitar ta ce dakarun Amurka da Nato za su fice daga Afghanistan a cikin wata 14. A ranar Asabar 29 ga wata Fabrairu 2020 ne Amurka da Taliban suka rattaba hannu a kan yarjejeniyar a birnin Doha na kasar Qatar. Sakataren Harkokin Wajen Amurka Mike Pompeo da shugabannin Taliban sun halarci sanya hannun kuma wakilan bangarorin za su ci gaba da tattunawa daga baya. Me yarjejeniyar ta kunsa? A karkashin yarjejeniyar ta Doha, Taliban ba za bari mayakan al-Qaeda ko wata kungiyar tayar da kayar baya su yi motsi a yankunan da ke karkashin ikonta ba. Sanarwar da Amurka da Afghanistan suka fitar ta ce: \"Kasashen kawance za su gama kwashe ragowar sojojinsu daga Afghanistan cikin wata 14, daga lokacin da aka kulla yarjejeniyar tsakanin Amurka da Taliban ...bisa sharadin Taliban ta cika nata bangaren yarjejeniyar\". Amurka ta fara shiga Afghanitan ne makonni kadan bayan harin da kungiyar al-Qaeda da ke Afghanistan ta kai mata a ranar 11 ga watan Satumban 2001. An kashe sojojin Amurka 2,400 tun bayan zuwansu Afghanistan, inda har yanzu akwai sauran dakarun Amurka guda 12,000. Shugaban Amurka Donald Trump ya yi alkawarin kawo karshen yakin na Afghanistan. Muhimmin al'amari cike da rashin tabbas An dade ana kokarin kulla wannan gagarumin yarjejeniyar, yayin da bangarorin ke ta kokarin samun galaba a kan juna a fagen yaki. Jarjejeniyar ta samo asali ne daga kokarin Amurka na mayar da sojojinta gida da kuma fahimtar wasu 'yan Taliban na cewa sulhu ita ce hanyar da za ta ba su damar komawa Afghanistan. Muhimmin mataki ne duk da cewa akwai rashin tabbas da rashin natsuwa game da sakamakon da hakan zai haifar. Kasancewar babu wani zabi game da yakin da ya ki ci ya ki cinyewa, wasu 'yan kasar sun gwammace a samu zaman lafiya a kasar. Shugabannin Taliban sun ce sun sauya daga tsattsauran tsarinsu na shekarun 1990 wanda yawancin 'yan kasar musamman mata ba za su manta ba. Wannan yarjejeniyar za ta zama zakaran gwajin dafi a kan Taliban da tsoffin shugabannin kasar da kuma wadanda aka samu a tsawon shekaru kusan 20 masu nufin bude sabon babi a tarihin kasar. Sanarwar da Amurka da Afghanistan suka fitar ta ce: \"Kasashen kawance za su gama kwashe ragowar sojojinsu daga Afghanistan cikin wata 14, daga lokacin da aka kulla yarjejeniyar tsakanin Amurka da Taliban ...bisa sharadin Taliban ta cika nata bangaren yarjejeniyar\". A shekarar 2001 ne Amurka ta fara jibge dakarunta a Afghanistan bayan hare-haren ranar 11 ga watan Satumba da kungiyar al-Qa'eda ta kai a Amurka. An kashe sojojin Amurka 2,400 tun bayan zuwansu Afghanistan, inda har yanzu akwai sauran dakarun Amurka guda 12,000. Shugaban Amurka Donald Trump ya yi alkawarin kawo karshen yakin na Afghanistan. Yaya Taliban da Amurka suka fara tattauwana? Tun a shekarar 2011, Qatar ke karbar bakuncin shugabannin Taliban da suka koma kasarta domin tattauna batun kawo zaman lafiya a Afghanistan. Yunkurin ya yi ta samun tsaiko. A 2013 an bude ofishin Taliban, amma aka rufe shi saboda cacar baki game da sanya tutoci, lamarin da ya kawo cikas ga tattaunawar. A watan Disamban 2018, Taliban ta sanar da cewa za ta gana da jami'an gwamnatin Amurka domin \"lalubo hanyar zaman lafiya\". Sai dai kungiyar ta sha kin amincewa ta tattauna da jami'an gwamnatin Afghanistan saboda zarginsu da zama \"karnukan farautan\" Amurka. Cimma matsaya Bayan tattauna sau tara tsakanin Taliban da Amurka a Qatar, da alama bangarorin sun kusa samun daidaito. A watan Satumbar 2019, babban mai shiga tsakani na gwamnatin Amurka ya ce kasarsa za ta janye soja 5,400 daga Afghanistan cikin mako 20 a matsayin alkawarin fahimtar juna da suka yi wa Taliban. Kwanaki kadan bayan nan, Shugaba Trump ya ce tattaunawar \"ta rushe\", saboda mayakan Taliban sun kashe wani sojan Amuka. Amma cikin mako biyu, bangarorin suka ci gaba da tattauna a sirrance. A makon da ya gabata Taliban ta amince da \"rage kai hare-hare\" - sai dai hukumomin Afghanistan sun ce mayakan kungiyar sun kashe soja 22 da fararen hula 14 a dan tsakanin. Me ya haddasa yakin Afghanistan? Yakin Afghanistan ya fara ne bayan Amurka ta fara kai hare-haren sama a kasar wata daya bayan harin ranar 11 ga watan Satumbar 2001 da aka kai Amurka. Hakan na zuwa ne bayan gwamnatin Taliban a Afghanistan - a wannan lokacin - ta ki mika wa Amurkar mutumin da ake zargin ya shirya harin, wato Osama bin Laden. Amurka ta samu goyon bayan kawayenta inda cikin dan lokaci suka kawar da mulkin gwamantin Taliban a Afghanistan. Hakan ya sa Taliban ta zama 'yar tayar da kayar baya, tare da kai munanan hare-haren da suka hana gwamnatocin da suka biyo baya sakat. Aikin rundunar kawancen kasashen ta kammala aikinta a 2014, amma ta ci gaba da zama domin horas da sojojin Afghanistan. Amma sojojin Amurka sun ci gaba da zama tare gudanar da ayyukan soji ciki har da kai hare-hare sama a Afghanistan. Duk da haka mayakan Taliban sun ci gaba samun tagomashi. A 2017 BBC ta gano cewa Taliban na da tasiri a kashi 70 na Afghanistan. Soja sama da 3,500 daga rundunar kawancen kasashe ne suka mutu tun bayan fara mamayar Afghanistan a 2001. Da wuya a iya gane yawan fararen hula da sojojin gwamnati da mayakan sa kai 'yan Afghanistan da suka mutu a rikicin. Rahoto Majalisar Dinkin Duniya na watan Fabrairun 2019 ya ce an kashe fararen hula fiye da 32,000 a yakin Afghanistan. Cibiyar bincike ta Watson Institute da ke Jami'ar Brown kuma ta ce an kashe jami'an tsaro 58,000 da mayaka 42,000 a yakin. Su wane ne 'yan Taliban? Taliban, wato \"dalibai\" da harshen Pashto, sun samo asali ne daga rikicin da ya biyo bayan janyewar sojojin Tarayyar Soviet a shekarar 1989. A shekarar 1996 'yan Taliban sun kwace iko da birnin Kabul sannan suka ci gaba da gudanar da mafi yawan kasar Afghanistan, bisa tsarin shari'ar Musulunci mai tsanani. Kafin a hambarar da su, gwamantin Taliban ta haramta kallon talbijin da gidajen kallo da sauraron kade-kade. Sun kuma tsaurara tsarin karatun mata sannan suka rika zartar da hukunci mai tsanani. Mullah Omar shi ne shugaban Taliban bayan hambarar da gwamnatinsu, kafin rasuwarsa a 2013. Kungiyar ba ta sanar da mutuwar Mullah Omar ba sai bayan shekara biyu. Shugaban kuniygar na yanzu shi ne Mawlawi Hibatullah Akhundzada."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49188235", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49187398", "doc1": "হামজা বিন লাদেনের খবর দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে বেনামী সূত্র থেকে উল্লেখ করা ওই খবরে, হামজা বিন লাদেনের মারা যাওয়ার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কিংবা তার মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার সম্পর্কে খোঁজ দেয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। হামজা বিন লাদেন, যার আনুমানিক বয়স ৩০ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের উপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিলেন। তার মৃত্যুর খবর প্রথমে আসে এনবিসি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসে। গত বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অসম্মতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনও এবিষয়ে কোন কথা বলেননি। আরো পড়তে পারেন: কে এই মুসলিমবিরোধী 'বৌদ্ধ বিন লাদেন'? বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? বিন লাদেনের ছেলে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন নেতা? ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে জিহাদিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা বিন লাদেন। আরব উপত্যকার বাসিন্দাদের বিদ্রোহ ঘোষণা করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মার্চে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে সৌদি আরব। ধারণা করা হয় যে, ইরানে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য অনেক সূত্র মতে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়াতেও তার বসবাসের খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের দাবি, ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে তার বাবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে নথি জব্দ করা হয়েছে সে অনুসারে আল কায়েদার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তার। এছাড়া আরেক জ্যেষ্ঠ আল কায়েদা নেতার মেয়ের সাথে তার বিয়ের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। বিয়েটি ইরানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তার শ্বশুর ছিল আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ বা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়া এবং কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার পেছনে জড়িত ছিল আল কায়েদা সংগঠন। তবে গত দশকে আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আল কায়েদার নামডাক কমে যায়। আমেরিকার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেড়ে ওঠা এক ছেলে বিবিসি নিউজের ক্রিস বাকলার এক বিশ্লেষণে বলেন, হামজা বিন লাদেনের বয়স কত তা বলতে না পারাই প্রমাণ করে যে মার্কিন কর্মকর্তারা তার সম্পর্কে কত কম জানে। গত কয়েক মাস ধরে তারা এই ধারণা উপর ছিলো যে, সে হয়তো আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা ইরানে রয়েছে। কিন্তু তারা কখনোই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ঠিক কোন দেশে আমেরিকার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তিটি লুকিয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে লাখো ডলারে পুরষ্কার ঘোষণা শুধু তার দ্বারা ভয়াবহ হুমকির মাত্রাকেই বোঝায় না, বরং আল কায়েদায় তার প্রতীকী গুরুত্বও তুলে ধরে। তার বাবা যখন ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তখন হামজা শিশু ছিল। তবে চরমপন্থী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, সেসময় বাবার পাশেই ছিল সে। ২০০১ সালে কাবুলের কাছে ওসামা বিন লাদেন যে ছেলেটি আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শেখার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে, তার কাছে বিশেষ বাহিনীর হাতে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকাটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর উপর হামলার আহ্বান জানিয়ে অনলাইন বার্তা দিয়ে আসছিলেন তিনি। হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর সঠিক হলে, এটি আল কায়েদার নতুন কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেবে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনাকারী সংগঠনটির হুমকি শেষ করতে পারবে না। আল-কায়েদা: মৌলিক বিষয় • ১৯৮০র দশকে আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি যখন আরবের স্বেচ্ছাসেবীরা সোভিয়েত সেনাদের হটাতে মার্কিন সমর্থিত আফগান মুজাহিদিন বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। • ওসামা বিন লাদেন এই স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্যে একটি সংগঠন তৈরি করে আল কায়েদা নামে যার অর্থ \"ভিত্তি\"। • ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। ১৯৯৬ সালে আবার ফিরে আসেন হাজারো বিদেশি মুসলিম সদস্যদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির চালাতে। • আমেরিকা, ইহুদী এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে \"পবিত্র যুদ্ধ\" ঘোষণা করেছিল আল কায়েদা।", "doc2": "Gwamnatin Amurka ta sanya ladan dala miliyan daya kan duk wanda ya bayar da bayanan da za su kai ga kama Hamza Bin Laden Har yanzu ma'aikatar tsaron Amurka ba ta bayar da wani karin haske kan mutuwar tasa ba. A 'yan watannin da suka gabata kasar ta sanya ladan dala miliyan daya kan duk wanda ya bayar da bayanan da za su kai ga kama Hamza Bin Laden, mai shekara 30. A lokacin sun ce yana kokarin zamowa wani babban kusa a shugabancin kungiyar ta Al-ka'ida. Sun kara da cewa ya yi amfani da sakonnin murya da bidiyo domin yin kira a kaiwa Amurka da kawayenta hari - domin ramuwar gayya ga kisan mahaifinsa. A shekarar 2011 ne dakarun Amurka suka kashe Osama Bin Laden - wanda aka zarga da taimakawa wurin shirya hare-haren 11 ga watan Satumba bayan shafe shekara 10 ana nemansa. An kuma gano wasu takardu a gidan da aka kashe shi a Pakistan, wanda aka ce shi ya rubuta, inda ya ce yana horas da dan nasa domin ya gaje shi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40811007", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53590599", "doc1": "অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আসে যে সৌদি আরবে হজ আর আল-উমরাহ-করতে যেসব মুসলমান যান, তাঁদের কাছ থেকে দেশটি আসলে কত অর্থ রোজগার করে? সৌদি আরবের অর্থনীতির কত ভাগ এই রোজগার থেকে আসে? এই বিষয় নিয়ে বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। অর্থের অঙ্ক বের করতে গেলে প্রথমেই দেখা দরকার -হজ করতে ঠিক কত সংখ্যক মুসলমান সৌদি আরবে যান? গত বছর মোট ৮৩ লক্ষ মানুষ হজ করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আল-উমরাহতেও গিয়েছিলেন। গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন। এর মধ্যে আবার দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তাঁরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন। গত বছর সৌদি আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। কিন্তু গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা। এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে। হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। যেমন গত বছরই প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন। নানা দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে গেছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন। সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি। সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী আগামী চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে এক কোটি ২০ লক্ষ হয়ে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলামানেরা হজ পালন করতে যান। গত বছর হজ থেকে সৌদি আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে। এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সৌদি অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে। মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১৫০০ ডলার ব্যয় করেন। তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩০০০ ডলার খরচ লাগে। এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়। ইরান থেকে আসা এক হজ যাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সী বিভাগকে জানিয়েছেন যে এ বছর তাঁর হজের বাজেট প্রায় আট হাজার ডলার। এর মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁর ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সৌদি অর্থনীতিতেই ঢুকছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে দুই লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)। নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম। অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে সৌদি আরবের যা রোজগার হয়, তার থেকেও বেশি আয় করে তারা হজ থেকে। তবে তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে। সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:", "doc2": "Abubuwan da Mahajjatan bana suka yi kewa game da aikin Hajji Sai dai a wannan shekara al'marin ya sha bamban, domin kuwa ba kamar yadda aka saba ba, annobar cutar korona ta hana Musulmai daga sauran kasashen duniya samun damar yin aikin. Hukumomi a Saudiyya sun kayyade cewa mutum 10,000 ne kawai za su yi ibadar ta bana kuma mazauna kasar ne kawai aka amincewa yin hakan ban da baki daga sauran kasashen duniya. Hakan na nufin miliyoyin mutane da suka kuduri niyyar zuwa ibadar za su kasance cikin kewa ta ''da a ce ina Saudiyya yanzu da na yi kaza da kaza.'' Wannan ne ya sa BBC ta yi duba kan wasu muhimman abubuwa da mahajjatan duniya za su yi kewa a Hajjin ta bana. 1.Hawan Arfa Hawan Arfa shi ne jigo na aikin Hajji, wanda idan babu shi to hajjin ba ya ta kammaluwa. Ana yin hawan Arfa ne a ranar 9 ga watan Zul Hijja, inda a kan fita tun kafin ko bayan sallar Asuba. Ana dai so a fita kafin rana ta fito. Mahajjata na wuni zur a wajen suna gabatar da addu'oi da zikirai da karatun kur'ani. A kan bar filin Arfah kafin rana ta fadi. Hakika yinin filin Arfa na sanya nutsuwa a zukatan masu ibada, don haka dole mahajjatan da suka yi niyya bana su ji ina ma a ce suna can su samu albarkar wannan yini. 2.Kwanan Muzdalifa Filin Muzdalifa shi ne wajen da alhazai ke wucewa bayan an sauka daga Arfa. Fili tarwal babu tanti babu dakunan kwana. A nan ne duk girman mukaminka za ka gane dai-dai kake da sauran bayin Allah masu ibada a wajen. Ana so a kwana a wannan fili sai dai ga tsofaffi da mata da marasa lafiya ne kawai za su iya barin wajen cikin dare. A filin Muzdalifa ne ake dibar duwatsun da za a jefi shaidan da su washegari. Lallai dole wannan kwana mai matukar muhimmanci da ke kara wa mutum yakana da tsoron Allah ya kasance wani abin kewa a zuciyar maniyyata na bana. Yadda musulmi daga sassa daban-daban suke zagaye Ka'aba 3.Jifan Shaidan Da an yi sallar Asuba sai a kama hanyar tafiya Jamrah, wato wajen da za a jefi shaidan. Mafi yawan mutane kan tafi ne da kafa daga Muzdalifa duk da nisan da ke tsakanin wuraren biyu. Amma da yake abu ne na bautar Allah ba lallai ka gane irin nisan tafiyar da ka yi ba ma. A kan samu turmutsutsu a wasu lokutan amma hukumomin kasar na aikin fadada wajen kusan duk shekara wanda hakan ke rage cunkoso. Sannan ga wasu na'urori da ke fesawa mutane ruwa tun a kan hanya don rage musu tsananin zafin da ake ji. Wayyo ko ni ma a yanzu da nake rubutun nan na ji kewar wannan aiki mai dumbin lada duk da cewa duk a hajjina na farko har suma na yi a wajen, a na biyun kuwa faduwa na yi ban suma ba amma na fita hayyacina. Ana shafe kwana uku zuwa hudu wajen zuwa jifan shaidan. 4.Zaman Mina A ranar 8 ga watan Zul Hijjah ne ake fita Mina don fara ainihin aikin Hajjin. Gaskiya rayuwar zaman Mina na kwanaki hudu na cike da dumbin aikin lada da kuma koyon darasi na rayuwar duniya. Daga cikin abubuwan da za a yi kewa dangane da wannan waje akwai ayyukan ibada da suka hada da zikirai da nafilfilu da sallolin jam'i da karatun kur'ani da zuwa jifan na tsawon kwanakin da za a yi a wajen. Mina ne wajen da ake haduwa da mutane ta yadda ba lallai ka hadu da wadanda ka sani a Makka ko Madina ba amma Mina ta zama tamkar mahada. Ina kewar zaman Mina kuma na san dukkan maniyyata na bana ma na kewar wajen. 5.Dawafi Farin gani ido da ido da Ka'aba sai a Dawafi. Dawafi ana fara yin sa ne da zarar an shiga birnin Makkah ba sai an fita Mina ba. Ana fara yin dawafin Umara, sannan akwai dawafin ranar Sallah da ake kira Dawafil Ifada, sai kuma dawafin bankwana bayan an kammala aikin Hajji a lokacin da mahajjata za su koma garuruwansu. Lallai dole ma mahajjata su yi kewar dawafi saboda irin shaukin da ke cikinsa. Ga ka ga Dakin Allah, me ya fi wannan dadi. Ga irina mai raunin zuciya kuka na kan yi idan ina dawafi, don ji na ke babu wani shamaki tsakanina da Mahaliccina a badini. 6.Sa'ayi ko Safa da Marwa Safa da Marwa ibada ce da ke tafe hannu da hannu da dawafi, don idan aka yi dawafan nan in dai ba na nafila ba sai an biyo bayansu da Sa'ayi. Safa da Marwa ibada ce da ake tafiya ana gabatar da adduóí a cikinta. Sannan za ta dinga sa ka tsoron Allah da tunanin haka Nana Hajara matar Annabi Ibrahim AS ta dinga yi lokacin da take nemar wa jaririnta Annabi Ismaíl ruwa don ya sha. Lallai wannan ibada dole maniyyata su yi kewarta. 7.Madina Masallacin Manzon Allah SAW ''Yaushe za mu Madina 'yan uwa, zuciyata ta ki dangana ga idanu na zubar ruwa, yaushe za mu ziyara dausayin sabunta shakuwa….,'' in ji wani mawaki mai suna Hafiz Abdullah. Lallai kam zuwa ziyara Madina ka samu kanka a Masallacin Maznon Allah SAW babban al'amari ne mai tsayawa a rai. Shiga Rauda da ganin Mumbari da ganin Kabarin Manzon Allah SAW, lallai wadan nan manyan al'amura ne masu tsayawa a rai. Dole maniyyata su yi kewar wannan lamari. Daga nan kuma alhazai za su karasa wajen Makabartar Baki'a inda mafi yawan sahababi da matan Manzon Allah SAW ke kwance don ziyara. 8.Uhudu Ziyara zuwa Dutsen Uhudu na daya daga cikin abubuwan da za su dinga tsayawa maniyyatan da ba su samu zuwa hajji ba a bana. A nan ne za a zagaya da alhazai don su ga kaburburan sahabban Manzon Allah SAW da aka kashe a Yakin Uhudu. 9.Masallacin Quba Ziyara zuwa masallaci na farko da Manzon Allah SAW ya fara yin sallah a cikinsa lokacn da ya isa Madina yayin hijirarsa. A kan yi sallah raka'a biyu a yi addu'oi sannan a koma cikin Madina. Gaskiya zuwa Quba ma abu ne mai dadi da tsayawa a rai. 10.Mikati Idan daga Madina ka fito za ka tafi Makkah don fara ibadar aikin Hajji to mikatinka yana Zul Hulaifa ne. Idan daga Jeddah ne kuwa to a nan din za ka dauki mikatin haramar Umara ko na Hajji da Umarar, ya danganta da irin hajjin da za ka yi. Ba abin da na fi tunawa irin wankan daukar niyya da ake yi a buga layi a gaban bandakunan, na maza daban na mata daban. Idan an fito wanka sai a saka ihrami a shiga mota a fara talbiyya ana ''Labbaikallahumma labbaik, labbaika la sharika laka labbaik…,'' har sai an shiga Makkah. 11.Tafiyar mota Wata makaranta ce mai zaman kanta da za a yi kewa. Ko dai daga Makkah zuwa Madina ko daga Madina zuwa Makkah ko kuma daga Jiddah zuwa Makka ko Madina ya danganta da yadda tsarin tafiyarka ya kasance. Amma dai idan ana wucewar nan za ka yi ta rayawa a ranka ko nan wajen yaya yake a zamanin Annabi SAW? Sannan a kan tsaya a kananan garuruwa don yin sallah da cin abinci, abin dai gwanin dadi. 12.Ruwan zamzam da dabino Duk da cewa a yanzu haka a kowace kasa idan kana so za ka iya sayen zamzam da dabino, amma ba dai kamar a ce kana gindin maganin ba, inda famfo kawai za ka bude a cikin Masallacin Harami ka sha iya shanka. A Madina ma ga shi nan an zuba a tuluna na zamani a sha a koshi. Dabino kuwa ai ko ba komai za ka yi tsarabar Ajwa mai yawa daga Madina. 13.Sayayya Bayan ayyukan ibadah alhazai kan kashe kwarkwatar idanunsu ta hanyar shiga shaguna don sayen tsarabobin da za su kai wa 'yan uwa da abokan arziki. Kaya ne iya dibarka dole kar bar saura a inda ka gan su. Da wahala ka shiga lungu ko sakon da ba za ka ga shaguna ba. Sannan ga rukunin shaguna na zamani a cikin manyan otel-otel din da ke daf da Harami inda ko baka sai komai ba dole a bai wa ido hakkinsa. Watakila bana da na je da na sayo kallo-kallo. 14.Shinkafa kaza da tuwon takari Allah Ya bar mana shinkafa kaza. A gaskiya na san mafi yawan maniyyata na bana za su yi kewar cin shinkafar nan da ake juye ta a leda a dira mata bankararriyar kaza a matsa mata lemon tsami. Wayyo, garin dadi na nesa. Sai dai wasu alhazan duk da dadi irin na shinkafa kaza su sun fi son cin abincin mutanenmu mazauna can irin su tuwo da sauran su. Amma ni dai Allah na gani na fi son cimar Larabawa. 15.Laban Garin dadi na nesa. Duk da cewa akwai yogot kamar yadda aka fi sanin Laban da shi a kasashenmu, to gaskiya na Saudiyya daban yake. Na san ba ni kadai ce zan yi kewar Laban ba muna da yawa. 16.Karbar sabil Bar batun girman mukami ko matsayi, a wasu lokutan dole ka samu kanka a karbar sabil kai ni kam ma dai ina da sha'awar karbar sabil dinnan don kuwa kayan dadi ne masu kudin Larabawa ke cika leda da su ana rarrabawa bayin Allah da sunan sadaka. Ba dai na shiga rububin karba amma da an ba ni nake amshewa ina Allah Ya karba. Bana kam na san ba masu karbar ba kawai su ma masu rabawar sai sun yi kewar rashin rabawa da yawa. 17.Mu hadu a gaban Darut Tauhid Kalmar mafi yawan mutane kenan idan suna son yin mahada da 'yan uwa ko abokansu a bakin Masallacin harami. Gaban katafaren otel din Darut Tauhid ya zama matattara dumbin mutane a lokacin aikin Hajji. Da Allah Ya yi zuwanmu a bana da sai dai na yi wa abokan aikina Bara'atu ko Umaymah da muka yi niyya tare waya na ce to mu hade a gaban Darut Tauhid bayan Sallar La'asar. Daga nan sai mu wuce KFC cin kaza da dankali. Watakila na manta ban sanya wasu abubuwan da maniyyata za su yi kewa ba, amma dai na san na tabo muhimman da kowa zai iya yarda da ni cewa sun isa saka mana kewar wannan ibada mai dadi da dumbin lada. Allah Ya sa muna da rabon zuwa badi. Karin labaran da za ku so ku karanta"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54371639", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54371750", "doc1": "ভারতের বেশিরভাগ মুসলিম কাজ করেন অনানুষ্ঠানিক খাতে অল্প আয়ে এই মামলায় যে ৩২ জন জীবিত অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি এবং আরও অনেক সিনিয়র বিজেপি নেতা। বুধবারের রায়ে এদের সবাইকে খালাস দেয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, ১৯৯২ সালে এই মসজিদটি ধ্বংস করেছে অচেনা 'সমাজ-বিরোধীরা' এবং এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। মসজিদটি ধ্বংস করতে সময় লেগেছিল মাত্র চার ঘন্টা। এই কাজটি করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে। এটি ধ্বংসের আগে যে এই কাজের মহড়া দেয়া হয়েছে, এতে যে স্থানীয় পুলিশের প্রচ্ছন্ন সম্মতি ছিল এবং হামলাকারীদের যে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল - এমন বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ দিয়েছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। তবে তারপরও আদালত এরকম রায় দিয়েছে। গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্টও বলেছিল, এটি ছিল এক ''সুপরিকল্পিত ঘটনা‌'' এবং ''আইনের শাসনের এক গুরুতর লঙ্ঘন‌''। তাহলে অভিযুক্তরা যে খালাস পেলেন এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে? সাধারণভাবে এই রায়কে দেখা হচ্ছে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা কতটা ঢিমে-তালের এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ- তারই আরেকটা নজির হিসেবে। অনেকের আশংকা, কয়েক দশক ধরে বিচার বিভাগের ওপর যেরকম নগ্ন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলেছে, প্রয়োজনীয় তহবিল দেয়া হয়নি এবং এর সক্ষমতা দুর্বল করা হয়েছে, তাতে এটিকে আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই রায় একই সঙ্গে আরেকটি বিষয়ের ওপর তীব্র আলোকপাত করেছে- সেটি হচ্ছে কীভাবে ভারতের ২০ কোটি মুসলিমকে ক্রমশই এক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হচ্ছে। ভারতে নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির শাসনে মুসলিমদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া যে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্র বলে কথিত, তার বহুত্ববাদী এবং ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাসের যে কোন সময়ের চেয়ে মুসলিমরা এখন ভারতে নিজেদের অনেক বেশি অপমানিত বলে মনে করে। ভারতে বাস করে প্রায় বিশ কোটি মুসলিম গরুর মাংস খাওয়ার কারণে কিংবা গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার কারণে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করেছে উন্মত্ত জনতা। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে গরু এক পবিত্র প্রাণী। মিস্টার মোদীর সরকার আইনে দ্রুত গতিতে এমন সব সংস্কার এনেছে, যাতে করে প্রতিবেশি দেশগুলোর অমুসলিমরা ভারতে আশ্রয় পায়। ভারতের মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু এবং কাশ্মীর তারা কয়েক টুকরো করে ভেঙ্গে দিয়েছে। সাংবিধানিক স্বায়ত্বশাসন হরণ করেছে। এবছর একটি মুসলিম ধর্মীয় গোষ্ঠী দিল্লিতে এক ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করার পর করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য কেবল মুসলিমদের ওপরই দোষ চাপানো হয়। মহামারির মধ্যে যখন হিন্দুদের বড় ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছে, সেটিকে কিন্তু একই রকমের নিন্দা আর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি গণমাধ্যম বা রাজনীতিকদের কাছ থেকে, একইভাবে দোষ চাপানোর চেষ্টাও চোখে পড়েনি। এখানেই শেষ নয়। গত শীত মৌসুমে বিতর্কিত এক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার কথিত অভিযোগে মুসলিম ছাত্র আর কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জেলে ঢোকানো হয়েছে। অথচ দাঙ্গায় উস্কানি দেয়া অনেক হিন্দু মুক্তভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেক মুসলিমের মতে, ভারতে মুসলিমদের যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে, বাবরি মসজিদের ঘটনার রায় আসলে তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতার বোধ একেবারেই বাস্তব। মিস্টার মোদীর দল তাদের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরের আদর্শ নিয়ে কোন রাখ-ঢাক করে না। জনপ্রিয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলো প্রকাশ্যেই মুসলিমদের দানবরূপে চিত্রিত করার কাজ চলে। ভারতের এক সময়ের অনেক শক্তিশালী আঞ্চলিক দল, যারা তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতো, তারাও যেন মনে হচ্ছে মুসলিমদের পরিত্যাগ করেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচকরা বলেন, এরা কেবল ভোটের স্বার্থে মুসলিমদের ব্যবহার করে, বিনিময়ে তাদের কিছু দেয় না। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের নিজেদেরও এমন নেতা কমই আছেন, যারা তাদের হয়ে কথা বলবে। গত বছর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিলেন মুসলিমরা \"মুসলিমরা এই পুরো ব্যবস্থার ওপর তাদের বিশ্বাস হারাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে তারা কোণঠাসা হয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম- কেউই আসলে মুসলিমদের জন্য কিছু করছে না\", বলছেন দিল্লি ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা 'সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের' গবেষক আসিম আলি। সত্যি কথা বলতে কী, ভারতে মুসলিমদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিতে পরিণত করার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভারতে মুসলিমদের একই সঙ্গে দুটি বোঝা বইতে হচ্ছে। একদিকে তাদের ''দেশ বিরোধী'' বলে তকমা দেয়া হয়, আবার একই সঙ্গে বলা হয় ভারতে ''মুসলিম তোষণ'' চলছে। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলছেন, এখানে পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, মুসলিমরা অন্যায্য সুবিধে পাচ্ছে- হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের এরকম কথা অনেক ভারতীয় বিশ্বাস করছে। বাস্তবে ভারতের মুসলিমরা কোন ধরণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেনি। ভারতের বড় বড় নগরীগুলিতে মুসলিমদের ক্রমাগত বেশি হারে কিছু নির্দিষ্ট মহল্লায় ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী, ফেডারেল পুলিশ বাহিনীতে ২০১৬ সালে মুসলিম পুলিশ অফিসার ছিল ৩ শতাংশেরও নীচে। অথচ মুসলিমরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। একটি রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের শহুরে মুসলিম জনগোষ্ঠির মাত্র ৮ শতাংশ এমন কাজ করেন যেখানে নিয়মিত বেতন মেলে। এটি ভারতের জাতীয় গড় হারের তুলনায় অনেক কম। প্রাথমিক স্কুলগুলোতে মুসলিম শিশুদের ভর্তির হার যদিও বেশ উঁচু, কিন্তু হাইস্কুলে যেতে যেতে এরা ঝরে পড়ে। এর মূল কারণ অর্থনৈতিক বঞ্চনা। ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ক্রমাগত কমছে। পার্লামেন্টের নির্বাচিত নিম্নকক্ষে এখন মুসলিম সদস্য ৫ শতাংশের নীচে। অথচ ১৯৮০ সালে এটি ছিল ৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে যখন বিজেপি ক্ষমতায় এলো, তখন তাদের একজনও মুসলিম এমপি ছিল না। ভারতের ইতিহাসে একজনও মুসলিম এমপি ছাড়া কোন দলের ক্ষমতায় আসার সেটাই প্রথম ঘটনা। মিস্টার মোদী এবং তার দলের নেতারা সবসময় দাবি করে চলেছেন যে তারা কোন ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্য করেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলে থাকেন, তার পেছনে অনেক মুসলিম দেশের সমর্থন আছে। তার সরকারের যে ব্যাপক জনকল্যাণ কর্মসূচি, সেটির সুফল সব দরিদ্র ভারতীয়ের কাছেই পৌঁছাচ্ছে। তারা যে জাতের বা যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন। বিজেপি বরং উদারপন্থী বিরোধী দলগুলোকে ''ধর্মনিরপেক্ষতার ভেকধারী'' বলে বর্ণনা করে থাকে। উন্মত্ত হিন্দু জনতা ভেঙ্গে ফেলছে বাবরি মসজিদ অনেকে মনে করেন, বিজেপির এই অভিযোগ কিছুটা সত্য। এর উদাহারণ হিসেবে তারা কমিউনিস্টদের দিকে ইঙ্গিত করেন, যারা তিন দশকের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে। কমিউনিস্টরা স্পষ্টভাষায় নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ হচ্ছে মুসলিম। কমিউনিস্টরা তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, গুজরাটের মুসলিমরা অর্থনৈতিকভাবে এবং মানব উন্নয়ন সূচকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিদের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে। যদিও গুজরাটে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলে, সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা। তবে ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক মির্জা আসমের বেগ এটিকে ব্যাখ্যা করছেন এভাবে, \"ভারতের বাজার অর্থনীতির কোন ধর্ম নেই। কাজেই গুজরাটের মতো রাজ্য, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ভালো, সেখানে হিন্দু এবং মুসলিম, উভয়েই ভালো উপার্জন করছে।\" কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি যে ধরণের ধর্মভিত্তিক নির্বাচনী রাজনীতির চর্চা করে, তাতে করে মুসলিমদের ''আলাদাকরণ'' করা হয়েছে। আরও পড়ুন: 'তাহলে আডভানি-জোশীরা সেদিন মঞ্চে মিষ্টি বিলি করছিলেন কেন?' কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী মুসলিম হওয়ায় হোটেল থেকে শিক্ষকদের তাড়িয়ে দেয়া হল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফে জাফরেলট বলেন, \"কিভাবে আপনি মেরুকরণের কাজটা করবেন? এটা আপনি করবেন অন্যদেরকে আপনার পরিচয়ের প্রতি একটা হুমকি হিসেবে চিত্রিত করে।\" ক্রিস্টোফে জাফরেলটের মতে, ভারত এখন এক ধরণের ''এথনিক ডেমোক্রেসির'' দিকে যাচ্ছে, যা এথনিক জাতীয়তাবাদ থেকে উৎসারিত। এর মূলে আছে একধরণের ''শ্রেষ্ঠত্বের'' বোধ। তবে সবকিছু এখনো অন্ধকারে হারিয়ে যায়নি। এক তরুণ মধ্যবিত্ত গোষ্ঠির উত্থান ঘটছে, দেশভাগের ভূত যাদের ঘাড়ে চেপে নেই। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন সেখানে এই তরুণ, স্পষ্টভাষী মুসলিম নারী-পুরুষদের দেখা গেছে ভারতের রাস্তায়। ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায় এক ঘরকুনো এবং নির্বাক সংখ্যালঘু বলে যে গৎবাঁধা ছবি, সেটা তারা ভেঙ্গে দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় এখন গড়ে উঠেছে কমিউনিটি কোচিং ক্লাস। সেখানে তরুণ মুসলিমদের ভারতের মর্যাদাপূর্ণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জহির আলি বলছেন, ভারতের অনেক তরুণ মুসলিম এখন তাদের মুসলিম পরিচয়কে ইতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা তাদের মত প্রকাশে মোটেই কুন্ঠিত নয়। কিন্তু তার মতে, শেষ পর্যন্ত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেয়ার এই ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে উৎকন্ঠা এবং অবিচারের বোধ আরও গভীর করবে। \"অনেক দিক থেকেই, এটা আসলে পুরো সম্প্রদায়কে পরিত্যাগ করার সামিল। তাদের মধ্যে একধরণের 'ক্ষমতাহীনতার' বোধ তৈরি হচ্ছে। বহু বছর ধরে মুসলিমদের তাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের নেতারা, হিন্দু নেতারা এবং সব রাজনৈতিক দল কেবল নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছে। দারিদ্র তাদের অবস্থাকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে\", বলছেন তিনি।‍", "doc2": "Akasarin Musulan Indiya na aiki a ƙananan ma'aikatun da ba su da ƙarfin tattalin arziki a kasar A cikin mutum 32 da ake zargi da yanzu haka suke a raye, akwai tsohon mukaddashin Firimiya LK Advani, da sauran jiga-jigan jam'iyyar BJP. A hukuncin da aka yanke a ranar Laraba, kotuna ta wanke duka waɗanda ake zargin, inda ta ce wasu ne da ba a san ko su wane ne ba suka kai harin tare da lalata masallacin a shekara ta 1992, ba wai an kitsa shi ne da gangan ba. Hakan ya faru duk kuwa da ɗumbin sahihan shaidun da suka gane wa idanunsu yadda aka rushe ginin masallacin, wanda ya dauki sa'o'i kadan, da ya nuna cewa sai da aka tsara aka kuma aiwatar, ba kuma tare da tunanin abinda zai biyo baya ba, wanda a kan idon wasu jami'an 'yan sanda ne a kuma gaban dubban jama'a. A shekarar da ta gabata ne kotun ƙolin Indiya ta tabbatar da cewa harin ''tsararre ne'' kana ''mummunan karya dokar kasa ce'' Ga baki daya ana ɗaukar sakamakon wannan hukunci a matsayin wani rauni da gurɓacewa a ɓangaren shari'a na kasar ta Indiya. Wasu ma na fargabar cewa lalacewar ta kai ta yadda ba zai gyaru ba saboda yawan shisshigin manyan 'yan siyasa, da rashin mayar da hankali wajen inganta ɓangaren shari'ar. Amma kuma za a iya cewa sakamakon hukuncin ya fito fili ya nuna damuwar da ake da ita na ƙaruwar nuna bambanci da wariyar da Musulman Indiya miliyan 200 ke fuskanta a kasar. A karkashin gwamnatin jam'iyyar BJP ta Narendra Modi, tura ta kai bango ga wasu al'ummomi inda suke jin cewa ana cin mutuncinsu fiye da ma a ko wane lokaci a cikin tarihin mulkin wadancan gwamnatocin Indiya da suka shude, inda suke yaba wa dimokraɗiyya mafi girma a duniya tun bayan samun 'yancin cin gashin kan kasar a shekara ta 1947. Musulmai kimanin 200 ne a kasar Indiya Gungun 'yan daba sun sha kashe Musulmai a kan cin naman saniya ko kuma jigilar shanu, wadanda masu bin addinin Hindu ke dauka a matsayin abin bauta. Gwamnatin Mr Modi ta yi garanbawul ga dokokin da za a bi diddigin 'yan gudun hihjirar da ba Musulmai ba da suka shigo daga kasashe maƙwabta. Ta rarraba jihar Jammu da yankin Kashmir da Musulmai suka fi rinjaye, kana ta raba su da 'yancin cin gashin kai da kundin tsarin mulki ya tanadar musu. A cikin wannan shekarar an zargi Musulmai su kadai da yada cutar korona bayan da 'yan wasu kungiyar Musulman suka halarci wani taron adddinin Musulunci a birnin Delhi. Amma kuma tarukan addinin Hindu da ake gudanarwa lokacin wannnan annoba ba su taba cin karo da irin wadannan zarge-zarge ko dora laifin da ba nasu ba, ko suka a kafafan yada labarai ba. Ba ma a nan batun ya tsaya ba, an sha yin awon gaba da dalibai Musulmai da masu fafutika ana garkame su a gidan kaso kan zargin haddasa fitina kan dokar zama dan kasa a birnin Delhi lokacin hunturun da ya gabata, yayin da mabiya addinin Hindu da suka haddasa hargitsin ba a yi musu komai ba. Musulmai da dama na kallon sakamakon hukuncin na Babri a matsayin wani ci gaba da cin mutuncinsu ne. Batun nuna wariya ya fito fili. Jam'iyar Mr Modi ta tabbatar da aƙidar mabiya addininta na Hindu. Manyan kafafen yada labaran kasar kan fito fili suna ɓata sunan Musulmai. Jam'iyyu da dama na Indiya da a baya suke da tagomashi da suka taɓa mara wa al'ummar Musulman baya, yanzu haka sun juya musu baya. Masu suka sun zargi babbar jam'iyar adawa kan amfani da Musulman wajen samun ƙuri'u ba tare da yi musu abinda ya dace ba. Ita kanta al'ummar Musulman shugabanninsu da ya kamata su fito su yi magana da yawunta ba su da yawa. \"Musulmai sun yanke ƙauna da lamarin gwamnatin. Suna ganin an kai su bango, kana jam'iyyun siyasa da ma'aikatu da kafafen yaɗa labarai sun gaza a taɓuka musu komai. Akwai rashin kwarin gwiwa a cikin al'ummar,'' in ji Asim Ali, wani masani a wata cibiyar bincike kan manufofin gwamnati da ke birnin Delhi. Musulmai masu zanga-zanga akan dokar zama dan kasa a shakarar bara A gaskiya, Indiya na da dadaɗɗen tarihin nuna wariya ga al'ummar Musulmai. ''Ana daukarsu marasa kishin kasa'', kamar yadda wani rahoto ya nuna. Amma a wata daban kuma, yayin da Indiyawa da dama ke kallon ba a yi wa Musulamai adalci, al'ummar ''Musulman ba su ci gajyar komai daga al'amuran da suka shafi zamantakewa da tattalin arzikin kasar ba'', kamar yadda wasu masanan tarihi suka bayyana. An cunkushe Musulmai da daman gaske a yankuna da unguwannin marasa galihu a cikin manyan birane. A shekara ta 2016, kason da suka samu na yawan jami'an ƴan sanda a yankunan nasu kasa da kashi 3% ne, yayin da yawan al'ummar Musulman ya kai kimanin fiye da kashi 14% na yawan al'ummar kasar ne. Kana kashi 8% kacal na Musulman da ke manyan birane ne ke yin aikin da ake biyansu albashi akai-akai."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41969823", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-41964775", "doc1": "ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ তারা বলছেন, এতে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভূমিধ্বসের কারণে উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে সারপল-ই-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সীমান্তের ওপারে ইরাকের কুর্দিস্তানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সাত দশমিক তিন মাত্রার এই ভূমিকম্পে ইরাকে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। কেন ইরানে এতো ভূমিকম্প বিশ্বের যেসব এলাকায় বার বার এধরনের ভূমিকম্প হয় ইরান তার একটি। এর আগেও দেশটিতে বেশ কিছু বড় আকারের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর কারণ হচ্ছে, সাধারণভাবে বলা যায়, আরাবিয়া এবং ইউরেশিয়া টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ। আরাবিয়া প্লেটটি প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে উত্তরে সরে যাচ্ছে। যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরাবিয়া প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটটিকে নিচ থেকে ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির উত্তর-পশ্চিমে এই দুটো প্লেট একে অপরকে সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে। এসব সংঘর্ষ থেকেই সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জাগরস পর্বতমালার। প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, থ্রাস্ট ফল্টের (চাপের কারণে একটি প্লেট যখন আরেকটি প্লেটের উপর উঠে যায়) কারণে এই ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পে কতো মানুষ হতাহত হতে পারেন তার একটি হিসাব অনুমান করার চেষ্টা চলছে। এটা করা হয় ভূমিকম্পের মাত্রা, জনবসতির ঘনত্ব এবং স্থানীয় বাড়িঘর কি ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। এই মডেল থেকে হয়তো প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। কিন্তু এই দুর্যোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।", "doc2": "Girgizar kasar ta auku ne a lokacin da mutane da yawa ke cikin gidajensu Wata hukumar bayar da agaji ta Iran ta ce mutum 70,000 na bukatar mafaka bayan afkuwar girgizar kasar, wadda daya ce daga cikin manyan da suka faru a wannan shekarar. A kalla mutum 207 daga cikin wadanda suka rasu din suna lardin yammaci na Kermanshah ne, yayin da girgizar kasar ta kashe wasu mutum bakwai a wasu wurare a Iran din. Kazalika mutum bakwai sun mutu a Iraki yayin da mutane suka tsere cikin babban birnin kasar, Bagadaza. Jami'an Iran sun ce fiye da mutum 1,600 ne suka ji raunuka. Wani kanti kenan da girgizar kasar ta shafa a kusa da yankin Halabja inda iftila'in ya fi tsanani Tsagewar da kasa ta yi ya kutsa har cikin iyakar Iraki kusa da birnin Kurdawa na Halabja, abin da ya janyo mutuwar mutum shida zuwa yanzu. Gine-gine sun ruguzo kuma lantarki ya katse yayin da zaftarewar kasa ke kawo tsaiko ga ayyukan ceto. An fahimci cewa babban asibitin da ke garin Sarpol-e-Zahab ya rushe gaba daya. Akwai kuma wasu rahotanni da ke cewa wani asibiti a cikin Iraki ko kuma a kan iyaka cikin yankin Kurdawa mai kwarya-kwaryan 'yanci ya lalace. Haka kuma, kasashe kamarsu Israila da Kuwaiti duk sun ji rugugin wannan girgizar kasa. Ana tsammanin yawan wadanda suka mutu a girgizar kasar ya karu"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47514263", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55591730", "doc1": "মানসা মুসার মক্কা ভ্রমণে তাঁর সাথে ছিলেন ১২০০০ দাস-দাসী এবং আরো ৬০,০০০ মানুষের এক বিশাল বহর। তবে সর্বকালের সেরা ধনীর সম্পদের কাছাকাছিও তিনি নেই। সেই খেতাবের মালিক মানসা মুসা, ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এই মুসলিম শাসক এতটাই ধনী ছিলেন যে তার দানশীলতার কারণে একটি পুরো দেশের অর্থনীতিতে পর্যন্ত ধস নেমেছিল। \"মুসার সম্পদের যে শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে আসলে তিনি যে কতটা সম্পদশালী এবং ক্ষমতাশালী ছিলেন তা ধারণা করাও কঠিন,\"- বিবিসিকে বলেন রুডলফ বুচ ওয়ার, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। \"কারো পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব তার চেয়েও ধনী ছিলেন মানসা মুসা,\"- ২০১৫ সালে মানি ডট কমের জন্য লেখেন জ্যাকব ডেভিডসন। ২০১২ সালে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটি নেট ওর্থ তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার বলে একটি ধারণা দেয়। তবে অর্থনীতির ইতিহাসবিদরা একমত যে সংখ্যা দিয়ে তাঁর সম্পদের কোন সঠিক ধারণা দেয়া একরকম অসম্ভব। সর্বকালের সেরা ১০ ধনী •মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭, মালি সাম্রাজ্যের রাজা) সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা সম্ভব নয়। •অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিস্টপূর্ব- ১৪ খ্রিস্টাব্দ, রোমান সম্রাট)৪.৬ লাখ কোটি ডলার। •ঝাও সু (১০৪৮-১০৮৫, চীনের সং সাম্রাজ্যের সম্রাট শেনজং) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •আকবর (১৫৪২-১৬০৫, ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের সম্রাট) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •এন্ড্রু কার্নেগি (১৮৩৫-১৯১৯, স্কটিশ-মার্কিন শিল্পপতি) ৩৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। •জন ডি রকাফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭, মার্কিন ব্যবসায়ী) ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। •নিকোলাই আলেক্সান্দ্রোভিচ রোমানভ (১৮৬৮-১৯১৮, রাশিয়ার জার) ৩০ হাজার কোটি ডলার। •মীর ওসমান আলী খান (১৮৮৬-১৯৬৭, ভারতীয় রাজপরিবারের সদস্য) ২৩ হাজার কোটি ডলার। •উইলিয়াম দ্য কনকারার (১০২৮-১০৮৭, ইংল্যান্ডের রাজা) ২২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। •মুয়াম্মার গাদ্দাফি (১৯৪২-২০১১, লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক) ২০ হাজার কোটি ডলার। সূত্র: মানি ডট কম স্বর্ণের রাজা ১২৮০ সালে একটি শাসক পরিবারেই জন্ম মানসা মুসার। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে মালি সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তাঁর ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। চতুর্দশ শতকের সিরীয় ইতিহাসবিদ শিহাব আল-উমারির বর্ণনা অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগর এবং তার ওপারে কী আছে তা নিয়ে মারাত্মক কৌতুহলী ছিলেন আবু-বকর। বলা হয় ২ হাজার জাহাজ এবং হাজার-হাজার পুরুষ, নারী এবং দাস-দাসী নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমান তিনি, এবং এরপর আর কখনো ফিরে আসেননি। প্রয়াত মার্কিন ইতিহাসবিদ আইভান ভ্যান সারটিমার মতো অনেকেই মনে করেন আবু-বকর শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছুতে পেরেছিলেন। যদিও এর কোন প্রমাণ নেই। যাইহোক, উত্তরাধিকার সূত্রে ভাইয়ের ফেলে যাওয়া রাজত্বের শাসনভার নেন মানসা মুসা। তাঁর শাসনামলে মালি রাজত্বের আকার বাড়তে থাকে। তিনি তার রাজত্বে আরো ২৪ টি শহর যুক্ত করেন, যার একটি ছিল টিম্বাকটু। তাঁর রাজত্ব বিস্তৃত ছিল ২,০০০ মাইলজুড়ে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নিজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভোরি কোস্টের বড় অংশ ছিল তার রাজত্বে। কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রে এভাবেই মানসা মুসার ছবি আঁকা হয়। এই বিশাল সাম্রাজ্যের সাথে তাঁর আয়ত্ত্বে আসে মূল্যবান খনিজ সম্পদ- বিশেষ করে স্বর্ণ এবং লবণ। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের হিসেবে মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুত ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর তার সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। \"শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান যোগান ছিল মানসা মুসার,\"- বিবিসিকে বলেন ক্যাথলিন বিকফোর্ড বারজক, নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। \"বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো তার সাম্রাজ্যে স্বর্ণ এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করতো, সেই বাণিজ্য থেকে আরো সম্পদশালী হয়ে ওঠেন মানসা মুসা\"। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সবচেয়ে ধুমধামের বিয়ে ঘিরে যত হৈচৈ আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার কার আয়ু বেশি: ধনী না গরিবের? বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী মক্কার উদ্দেশ্যে মানসা মুসা মালি সাম্রাজ্যে স্বর্ণের বিশাল মজুত থাকলেও, এই রাজত্ব বহির্বিশ্বে অতটা পরিচিত ছিল না। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা যখন সাহারা মরু এবং মিশর পার হয়ে মক্কায় হ্জ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনি সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানসা মুসার মক্কা যাত্রা তাকে এবং মালিকে মানচিত্রে স্থান করে দেয় - ১৩৭৫ সালের কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রের বলা হয় ৬০,০০০ মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রী পরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২,০০০ দাস-দাসী। একইসাথে খাবারের জন্য ছিলো ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। মরুর বুক দিয়ে যেন একটি শহর চলছিল। যে শহরের এমনকি একজন দাসের গায়েও স্বর্ণখচিত পারস্যের সিল্কের জামা। শহরের সাথে চলছিল শত-শত উটের আরেকটি বহর, যার প্রতিটির পিঠে শত-শত সের খাঁটি স্বর্ণ। দেখার মত দৃশ্য ছিল সেটি। সেই দেখার মত মানুষ পাওয়া গেল যখন পুরো ক্যারাভানটি কায়রোতে পৌঁছুল। কায়রোর স্বর্ণধস কায়রোতে মানসা মুসার ভ্রমণ সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে তাঁর ভ্রমণের ১২ বছর পর যখন আল-উমারি শহরটিতে যান, তখনো মানুষের মুখে মুখে ছিল মানসা মুসার স্তুতিবাক্য। কায়রোতে তিন মাস অবস্থানের সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ঐ পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্টঅ্যাসেট ডট কমের এক হিসেবে, মানসা মুসার মক্কা যাত্রার ফলে স্বর্ণের যে অবমূল্যায়ন হয় তাতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তৎকালীন সময়ে ১৫০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল। ফেরার পথে আবারো মিশর পার হন মানসা মুসা। অনেকের মতে যেসময় দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন তিনি। চড়া সুদে তিনি বেশকিছু স্বর্ণ ধার করে সেগুলো তিনি বাজার থেকে তুলে নেন। আবার অনেকে বলেন, তিনি এত বেশি খরচ করেন যে তাঁর স্বর্ণ শেষ হয়ে যায়। লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান এবং ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের লুসি ডুরান বলেন, মালির চারণকবি, যারা কিনা গানের সুরে ইতিহাস বর্ণনা করতেন, তারা মানসা মুসার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। \"তিনি মালির এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে তারা (চারণকবিরা) তাদের গানে মানসা মুসার প্রশংসা করেন না। কারণ তারা মনে করেন, তিনি দেশটির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন\"। হৃদয়ে ছিল শিক্ষা মানসা মুসা তার তীর্থযাত্রায় যে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ খরচ অথবা নষ্ট করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার এই অতি দানশীলতাই তাকে বিশ্বের নজরে এনে দেয়। মানসা মুসা আক্ষরিক অর্থেই মালি এবং নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে দেন। ১৩৭৫ সালের একটি কাতালান মানচিত্রে টিম্বাকটুর ওপরে একজন আফ্রিকান রাজাকে স্বর্ণের টুকরো হাতে বসে থাকার ছবি দেখা যায়। তিনিই মানসা মুসা। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন টিম্বাকটু দেখতে আসা শুরু করেন। উনিশ শতকেও টিম্বাকটু ছিল কিংবদন্তীর হারিয়ে যাওয়া এক স্বর্ণের শহর। ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপ থেকেও পরিব্রাজকেরা খোঁজ করতেন এই টিম্বাকটুর। আর এর পেছনে মূল কারণটিই ছিল ৫০০ বছর আগে মানসা মুসার সেই শাসনামল। মক্কা থেকে বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদকে সাথে নিয়ে আসেন মানসা মুসা। যাদের মধ্যে ছিলেন নবী মোহাম্মদের সরাসরি বংশধর এবং একজন আন্দালুসিয়ান কবি ও স্থপতি আবু এস হক এস সাহেলি, যাকে কিনা বিখ্যাত জিংগারেবার মসজিদের নকশাকার হিসেবে ধারণা করা হয়। মানসা মুসা সেই কবিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮২ লক্ষ মার্কিন ডলার। শিল্প এবং স্থাপনায় উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেন, স্কুল, লাইব্রেরি এবং মসজিদ তৈরিতে অর্থ দান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই টিম্বাকটু হয়ে ওঠে শিক্ষার কেন্দ্র এবং সারাবিশ্ব থেকে মানুষজন সেখানে পড়তে আসা শুরু করে, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় সাংকোর বিশ্ববিদ্যালয় নামে। ধনী সেই রাজাকে পশ্চিম আফ্রিকায় শিক্ষার প্রসারের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও সেই সাম্রাজ্যের বাইরে তার সেই গল্প খুব কম মানুষই জানতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, \"ইতিহাস লেখে বিজয়ীরা\"। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মানসা মুসার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। ১৩২৭ সালে জিংগারেবার মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন মানসা মুসা। পরবর্তীতে ইউরোপিয়দের আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন ছিল প্রতাপশালী সম্রাট মানসা মুসার কফিনের শেষ পেরেক। \"মধ্যযুগের ইতিহাসকে এখনো অনেকটা পশ্চিমা ইতিহাস হিসেবেই দেখা হয়,\"- মানসা মুসার কাহিনী কেন এতটা প্রচারিত নয় তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন ব্লক মিউজিয়ামের পরিচালক লিসা করিন গ্রাজিও। \"কয়েক'শ বছর পরে না এসে, মানসা মুসার সময়ে মালি যখন সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিতে সবার শীর্ষে ছিল, তখন যদি ইউরোপিয়রা আফ্রিকায় আসতো- তাহলে হয়তো পুরো বিষয়টা অন্যরকম হতো,\" বলেন মিস্টার ওয়ার।", "doc2": "Wadanne sirruka ne ke tattare da nasarar hada-hadar kasuwancin hamshakin attajiri Elon Musk? Mutumin da ya kafa kamfanin The Tesla and SpaceX an ƙimanta yawan dukiyarsa kan kuɗi kimanin Dala biliyan 185 (Fam biliyan 136) bayan da aka samu hannayen jari a kamfanin motar lantarki sun yi matukar karuwa. Shin mene ne sirrin nasararsa? Shekaru kadan da suka wuce na shafe sa'a guda ina tattaunawa da shi. Domin bikin murnar gagarumar nasarar da ya samu, sai muka cimma matsayar tattaunawa da shi, kuma mu bayyana muku. Don haka ga dabarun kai ga gacin nasarar Elon Musk a harkar kasuwanci. 1. Ba lamari ne da ya shafi kudi ba Wannan al'amari ne da ya dogara kacokan game da dabi'ar Elon Musk wajen tunkarar harkokin kasuwanci. Lokacin da na tattauna da shi cikin shekarar 2014 ya ce bai san yawan dukiyarsa ba. \"Ba wai lamarin na nuni da cewa a tara dimbin kudi cukus a wani wuri ba ne,\" in ji shi. \"gaskiyar lamari kawai ina da wani kaso na yawan hannayen jari a kamfanonin Tesla da SpaceX da SolarCity, sai dai kuma kasuwa ta ba su kimar daraja daukacin wadannan hannayen jari.\" Fasalin motar A Tesla Model X 90D da aka baje kolinta a wajen hada-hadar ciniki a birnin Brussels Ba ya kyarar wani abu game da fafutikar tara dukiya 'matukar dai ana gudanar da hada-hadar kan yadda ta dace da kyakkyawar manufa,\" amma a cewarsa, ba wannan ne abin da ya zaburar da shi ba. Tabbas irin wannan tsari yana da tasiri a aikace. Hakikanin abin da ya zaburar da Robert Doney Jr a rayuwa, shi ne, yadda aka kwatanta Tony Stark mai sarrafa mutum-mutumin ƙarafa mai motsi da ya shahara da kimar dukiyar da ta kai Dala biliyan 10 a lokacin da muka tattauna da shi a shekarar 2014. Kamfaninsa na ƙera mota mai aiki da makamashin lantarki (electric car), Tesla, ya yi kyakkyawar hada-hadar kasuwanci. Hannayen jarinsa sun rika bunkasa a tsawon shekaru, har kimar darajarsu ta zarta Dala biliyan 700. Bisa wannan dalili za ka/ki iya sayen Hodi (Ford) da General Motors da BMW da Volkswagen (Basuwaja - mota mai kirar kunkuru) da Fiat Chrysler, har kuma a samu ragowar kudin da za a iya sayen mota kirar Ferari. Robert Downey Jr an ce ya dubi Musk ne a matsayin wanda ya zaburar da shi wajen kera mutum-mutumin karfe Sai dai Musk, mutumin da ya cika shekaru 50 cikin wannan shekarar, bai yi tsammanin kai wa karshen rayuwarsa tare da dimbin arziki ba. A cewarsa mafi yawan kudinsa za a sarayar da su ne wajen yin gini a duniyar Mars, kuma ka da a yi mamakin ganin cewa wannan aiki ya laƙume daukacin dukiyarsa. A hakikanin gaskiya, Bill Gates, ta yiwu ya kai karshen rayuwarsa da tarin biliyoyin kudi a asusun ajiyarsa na banki a matsayin gazawa, saboda bai yi kyakkyawan amfani da kudin ba. 2. Yi fafutikar abin da ka damfaru da sonsa Yin sansani a duniyar Mars, wani al'amari ne da Elon Musk ke da tabbacin cewa, shi ne, jigon nasara. \"Kana/kina son ganin kyautatuwar al'amura nan gaba,\" kamar yadda ya fada mini. \"Kana bukatar abubuwa masu kayatarwa da ke kyautata halin rayuwa.\" Dubi SpaceX. Ya fada mini cewa ya kafa kamfanin ne saboda takaicin shirin sararin samaniyar Amurka bai kasance tattare da zakuwar cimma burace-burace masu matukar yawa ba. \"Na dade da zakuwar ganin fafutikarmu ta zarta duniya, har mu kai ga tsugunnar da mutum a duniyar Mars, tare da yin sansani a duniyar wata, kuma ka sani kamata ya yi mu rika yin tafiye-tafiye (kewayen sararin samiya) kan falakin duniyoyi akai-akai,\" in ji shi. Yayin da wannan al'amari bai kasance ba, sai ya bullo da wata dabara mai manufar \"Tafiya Dausayin duniyar Mars - Mars Oasis Mission,\" wanda ke nufin tura rumfar shuka tsirrai zuwa sararin jar duniya. Manufar yin hakan shi ne, cusa wa mutane sha'awar sararin samaniya, sannan a ja ra'ayin Gwamnatin Amurka ta kara kasafin kudin Hukumar sararin samaniyar kasar ta NASA. Daidai lokacin da yake yunƙurin tashi sama sai ya fahimci matsalar ba ta rashin ƙwarin guiwa ba ce, sai dai rashin hanya\" - fasahar kere-keren sararin samaniya na da matukar tsadar aiwatarwa fiye da yadda ake zato. Et voila! An samar da hada-hadar kasuwancin rokar sararin samaniya mafi arha. Rokar SpaceX da aka cillata don gwaji a farfajiyar kamfanin da ke Boca Chica, a Jihar Texas cikin Disamba. Kuma shi ne abu mafi muhimmanci, domin farko ba muradin tara kudi ba ne, sai dai kawai a kai mutum ya sauka a duniyar Mars. Musk ya bayyana mini cewa, yana daukar kansa a matsayin injiya fiye da mai zuba jari, sannan ya ce abin da yake tashi da shi tun da safe, shi ne hankoron warware matsalolin da ke tattare da fasahar aiwatar da aiki. Wannan ne ya fi komai, fiye da Dalolin da ke makare a banki, don shi ne ma'aunin kimar ci gaba. Ya san cewa duk wani kalubale da harkar kasuwancinsa ya shawo kanta, to za ta taimaka wa kowane mutumin da ya samu kansa tattare da irin wannan kalubalen da ya ke ta kokarin shawo kansa - haka dai lamarin zai ci gaba har abada. Wannan ne dalilin da ya sanya, kafin haduwarmu ba da dadewa ba, wannan mai masana'antu ya sanar da cewa ya yi shirin baje fasahar kirkirar Tesla a fili karara don zaburar da kere-keren ababen hawa masu aiki da makamashin lantarki a fadin duniya. 3. Ka da a ji tsoron fadada tunani - Daya daga cikin abubuwan ban mamaki game da harkokin kasuwancin Elon Musk shi ne, yadda ake gudanar da su gaba-gadi ba tare da fargaba ba. Yana son kawo sauyi a masana'antar kera mota, ya mamaye duniyar Mars da kera jirgin kasa mai gudun gaske ta cikin kwarkwaron mazurari, tare da tattaro kirkirar basira (AI) a cusa cikin kwakwalwar dan Adam da juya akalar makamashin rana a masana'antun sarrafa batura. Akwai bagire guda da al'amuran ke lilo a kai. Daukacin ayyukansa mafarkai ne da ake hankoron tabbatar da su, wanda ake iya ganin fasalinsu a mujallar kananan yara da aka rika wallafawa cikin shekarun 1980. A dauka kamar haka, wannan kasuwancin mazurarinsa na karkashin kasa ana kiransa da Kamfanin Boring. Musk ba ya boye cewa littattafai da fina-finai tun yana yaro karami suka cusa masa irin wannan sha'awar lokacin da yake karami a kasar Afirka ta Kudu. Sabon kamfanin Tesla da ake ginawa a birnin Shangai na kasar Sin cikin shekarar 2019. Wannan ne dai rukunin hada-hadar kasuwanci na uku - ba ja da baya. Yana da yakinin cewa karancin buri aka cusa wa tsarin kamfanoni. Kamfanoni da dama \"masu fafutikar sauyin ci gaba ne mataki-maki\", a cewarsa. \"Idan ka kasance shugaban babban kamfani, kuma kana da manufar kai ga gacin bunkasa a hankali, lamarin zai dauki tsawon lokaci fiye da yadda kake tsammani, kuma ba lallai a samu kyakkyawar nasara ba, saboda haka babu wanda zai zargeka,\" kamar yadda ya fada mini. Za ka iya cewa ba laifina ba ne, laifin masu samar da kaya ne. Idan kana da kwarin guiwa, to sai ka zabura wajen kai wa ga gacin samun nasarar karin ci gaba, kuma lamarin ya ki aiki, tabbas za a koreka (daga aiki), a cewarsa. Ya ce wannan ne dalilin da ya sanya mafi yawan kamfanoni suka himmatu kan ƙarin ƙwazo kadan-kadan don inganta irin kayayyakin da suke samarwa/kerawa maimakon su bugi kirji wajen samar/kera wasu sababbi. Rukunin ma'aikatan Musk da ke cusa matattarar bayanai ta chip a kwakwalwar alade don kulla alaka da na'ura. Don haka, a shawararsa ka tabbatar kana aikin kan abin da ya yi wa lakabi da \"al'amuran da za su kasance masu matukar tasiri.\" Al'amura biyu ne ke da matukar tasirin a wajen Musk na kashin kansa. Na farko, yana hankoron ganin cikin gaugawa an daina amfani da makamashin man fetur. A nan mai masana'antun na nuni da cewa, kan wannan lamari dai: \"Muna yin haka mai zurfi a rijiyoyin iskar gas da wuraren hakar fetur wadanda ba su da tabbas, tun tsawon zamani daɗaɗɗe na Cambrian era, wato kimanin shekaru miliyan 55 da dubu 600. Idan a da an samu nasara, to lokacin da cukurkudaddun halittu aka tsaftace su, don haka ne dole a bijiro da tambaya kan cewa ko yin hakan ya dace.\" Na biyu, yana son tabbatar da ganin rayuwar mutane ta tsawaita bayan (dogon zamani) bayan dan Adam ya mamaye duniyar Mars kuma \"rayuwa ta kasance za a iya gudanar da ita a duniyoyi da yawa).\" 4. A shirya tunkarar hadari/asara Wannan abu ne guda da yake a bayyane karara - Dole ka/ki shige cikin fafutikarka don yin aiki mai kyau, amma Elon Musk ya tunkari dimbin hadurran iya ririta asara fiye da mutane da dama. A cikin shekarar 2002 sai da ya sayar da daukacin hannayen jarinsa a kamfanoninsa na farko guda biyu, wato mai hada-hadar shafukan intanet na Zip2 da shafin hada-hadar biyan kudi na Paypal. Lokacin da ya cika shekaru 30 ya mallaki Dala miliyan 200 a asusun ajiyar banki. Ya ce nufinsa shi ne ya zuba rabin dukiyar a hada-hadar harkokin kasuwanci, rabin kuwa ya ajiye shi. Sai dai al'amarin bai kasance kamar hakan ba. Lokacin da na hadu da shi, yana kokarin fitowa daga kangin yanayin kuncin rayuwar harkokin kasuwanci. Sababbin kamfanoninsa sun fuskancin dimbin matsaloli. Kayan da kamfanin SpaceX ya kaddamar guda uku duk ba su kai ga cin nasara ba, sannan Tesla ya ci karo da dimbin kalubalen kere-kere, tare da tsarin samar da kaya da al'amuran da suka jibinci fasalin zayyanar tsarin ayyuka. Dimbin turakun cajin zukar makamashin lantarki na ababen hawa a cibiyoyin da ke birni. Daga bisani matsalar hada-hadar kudi ta kawo tarnaki. Musk ya ce ya fuskanci mawuyacin hali na rashin zabi. \"Ko dai in adana kudin, sai kamfanonin su durkushe, ko kuma in zuba musu jari na daga abin da ya rage mini, watakila akwai yiwuwar samun damar kyakkyawan yanayi. A wani bangare bashi ya dabaibaye shi, ta yadda dole ya ranto kudi daga abokansa, don biyan bukatun rayuwarsa, a yadda ya fada mini. Shin ko dabaibayin bashin durkushewa ya firgita shi? Ya ce, a'a: \"Ƴaƴana ta yiwu su halarci wata makarantar gwamnati. Ina nufin wannan babban al'amari ne, ni ma makarantar gwmanati na halarta.\" 5. Yin biris da masu sukar lamiri Abin da ya fi kada shi (ka da masa gaba), shi ne, ya bayyana karara a shekarar 2014 lokacin yana jin takaici - daukacin masana da masu sharhi kan al'amura suna ta sha'awar bin kadin mawuyacin halin da ya samu kansa a ciki. \"Yancin nuna farin ciki da annashuwa kan musifar da ta samu mutum na da matukar ban mamaki,\" in ji Musk. Na fahimci cewa ta yiwu mutane na son ganin gazawarsa saboda ganin kamar akwai jiji da kai da dagawa tattare da burinsa. Ya yi watsi da hakan. Ina jin cewa zan kasance mai jiji da kai matukar na san cewa lallai sai mun yi aikin da ke gabanmu, sabanin hankoron yin aikin, don haka muke yin komai da kyau iya iyawarmu.\" Elon Musk ne mutumin da ya yi tasirin juya akalar tunanin Robert Downey ya kera mutum-mutumin karfe. Wannan ya kawo mu ga wata nasarar kasuwancin Musk - wato ka da a saurari masu sukar lamairin mutum. Ya fada mini cewa, bai taba samun tabbacin tunanin cewa SpaceX ko Tesla za su samar da kudi ba - kuma a hakikanin gaskiya babu ma wanda ya yi tunanin hakan. Amma sai ya yi watsi da masu mummunar mahanga, ya tunkari aikinsa kaitsaye gaba-gadi. Mene ne dalili? A tuna, wannan mutumin yana yanke hukuncin samun nasara ne bisa la'akari da muhimmancin matsalolin da ake kokarin shawo kansu, amma ba wai kudi da ya samu ba. Yi tunanin yadda za ka samu 'yantuwa daga kangi. Ba ya damuwa da yi masa kallon wawa saboda irin kudin da yake kasadar zubawa ba su dawo ba, abin da kawai ya dame shi shi ne fafutikar juya akalar muhimman dabarun aiwatar da aiki. Al'amarin na sanyawa a cimma matsaya da za ta saukaka ayyuka, saboda yana iya fuskantar lamarin kacokan dangane da hakikanin abin da yake da tabbaci a kai. Kuma manuniya ta nuna harkar kasuwancin na son abin da yake yi. A Oktobar, Bankin zuba jari a Amurka na Morgan Stanley ya kimanta darajar SpaceX kan kudi Dala biliyan 100. Kamafanin ya bunkasa hada-hadar tattalin arzikin jiragen sararin samaniya, amma abin da yake sanya wa Musk tinkahon farin cikin, shi ne yadda kamfanin ya inganta shirin hada-hadar sararin samaniyar kasar Amurka. A bara matukan rokar Dragon sun tashi da 'yan sama jannati shida zuwa babbar tashar sararin samaniyar duniya, wanda ya kasance irinsa na farko daga kasar Amurka tun bayan da aka dakatar da tashin jiragen da ke kai-kawo a sararin samaniya cikin shekarar 2011. 6. Ji daɗine rayuwarka Bin wannan ka'ida, tattare da samun sa'a, za ka iya zama hamshakin attajiri kuma shahararre. Daga nan sai ka bayyana a fili karara. Elon Musk mutum ne da ya shahara da kwazon aiki - har tutiya yake da kwazon aiki a tsawon sa'o'i 120 na makonni domin tabbatar da ayyukan kera Tesla kirar Model3 na tafiya daidai, amma tun daga lokacin da muka hadu da shi, alamu suka nuna yana jin dadi a kashin kansa. Mr Musk na cike da farin ciki game da yawan gwaje-gwajen da ya samu nasarar aiwatarwa Ya haifar da rudani ta hanyar bata sunan kararrakin kotuna (shari'o'i) a zugar haramtacciyar taba (wiwi) da kurari a kafafen sada zumuntar shafukan intanet. A shekarar 2018 ya shiga rikici da Hukumar daidaita hada-hadar kudi ta Amurka, yayin da ya aike da sakon twita cewa yana shirin mayar da aikin Tesla a killace, kuma bayan da cutar COVID-19 ta tursasa Tesla ta rufe masana'antarta da ke gabar ruwan San Francisco, sai ya yi ta babatun adawa da dakatar da kai-kawon mutane. Ya yi wa ƙwayar cutar virus da ta zama ruwan dare game duniya lakabin \"kurma\" a shafin Twitter, sannan ya kwatanta umarnin zaman gida a matsayin \"shiga kurkukun dole,\" inda ya yi nuni da cewa \"'Yan kama-karya\" ne tare da keta haddin hakkokin da ke kunshe a kundin tsarin mulki. A lokacin bazarar ya bayana aniyarsa ta sayar da kaddarorin da suke mallkin kansa ne, domin a cewarsa \"nauyi ne da ka iya danne ka ka yi kasa.\" Kwanaki kadan daga bisani ya hau shafinsa na twiter ya bayyana wa duniya sabuwar kirkirasa, wadda ya yi wa lakabi da X Æ A-12 Musk. Duk da haka dabi'arsa ta kasance ba a iya hasashen inda ya sa gaba, babu wata alama da ta nuna ta yi wa harkokin kasuwancinsa wata illa, kuma wannan mai kakkafa masana'anta na cike da dimbin buri a kodayaushe. Cikin watan Satumba, Musk ya yi ikirarin cewa Tesla za ta samar da wata mota \"mai daukar hankali\" a kan kudi Dala dubu 25 nan da shekara uku, sannan ya ce daukacin motocin kamfanin za su kasance masu sarrafa/tuka kansu. A karshen wannan shekarar aka samu hakikanin fashewar al'amura cikin Disamba, yayin da SpaceX ya kaddamar da tauraron jirginsa, wanda yake da kwarin guiwar ganin saukar mutane a sararin samaniyar duniyar Mars. Hamshakiyar roka ta fado wajen sauka mintuna shida da dagawarta. Elon Musk ya yabi gwajin da aka yi a matsayin \"mai matukar mamaki\" kai wa ga gacin nasara."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55530160", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55597187", "doc1": "বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাবেন না ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লেখেন, \"যারা জানতে চেয়েছে তাদের বলছি,আমি ২০শে জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।\" এমন এক সময় একথা ঘোষণা করলেন মি. ট্রাম্প, যখন ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে গত বুধবার ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলায় উস্কানি দেবার জন্য ডেমোক্র্যাটরা ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে অপসারণ করার জন্য। মি. ট্রাম্পের টুইট অবশ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এখন পর্যন্ত এরকম কিছু করার ইঙ্গিত দেননি। রাজধানী ওয়াশিংটনের এই ক্যাপিটল ভবনের সিঁড়িতেই নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধীরা বলছেন, তারা তাকে অভিশংসনের প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারেন, যদিও তা সম্পন্ন হবার সম্ভাবনা কম - কারণ মি. ট্রাম্পের মেয়াদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। বুধবারের হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সহ পাঁচ জন নিহত হয়েছে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবন মি. ট্রাম্প হবেন উত্তরসূরীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে না যাওয়া চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৯ সালে। সেবার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রু জনসন - পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস গ্র্যান্টের সাথে একই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। আরো পড়ুন: ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পের এই ‘ইউ টার্ন‘ কেন", "doc2": "Donald Trump dai bai bayyana dalilinsa na rashin halartar bikin rantsuwar ba \"Ga duk masu tambaya, ba zan je bikin rantsuwa ba ranar 20 ga watan Janairu,\" kamar yadda shugaban ya wallafa a shafinsa na Tuwita. Mista Trump na fuskantar kiraye-kirayen cire shi daga ofis bayan da mutum biyar suka mutu lokacin da magoya bayansa suna kutsa cikin ginin majalisar dokokin ƙasar. Mutuwa ta baya-bayan nan sakamakon lamarin ta wani ɗan sanda ne Brian Sicknick, wanda ya ƙarasa bayan kai shi asibiti sakamakon raunukan da ya ji. Hukumar leƙen asiri ta FBI a Washington ta ce za ta yi aiki da ƴn sanda don binciken dalilin mutuwar tasa, duk da cewa ba su bayyana ko za a ɗauki lamarin mutuwar a batun laifin kisan kai ba. RIkicin na ranar Laraba ya faru ne sa'oi kaɗan bayan da Mista Trump ya goyi bayan magoya bayansa da su yi fito na fito da sakamakon da majalisa za ta gabatar na tabbatar da nasarar Biden a zaɓen watan Nuwamban 2020. Bayan da ya sha matsin lamba, daga baya Mista Trump ya saki wata sanarwa da aka naɗi muryarsa a yammacin ranar Alhamis yana Allah-wadai da harin da aka kai Capitol ɗin. Shin Trump ya yi daidai da ya ce ba zai je rantsuwar ba? Abin da Trump ya yi wani bambaraƙwai ne da ba a saba gani ba: shugaba na ƙarshe da ya taɓa irin haka shi ne Andrew Johnson, a shekarar 1869. Mista Trump a yanzu ya amince da shan kayen 3 ga watan Nuwamba kuma ya yi alƙawarin miƙa mulki cikin lumana. Sai dai fa har yanzu bai daina zargin an tafka maguɗi a zaɓen ba. Manyan ƴan majalisa na jam'iyyar Democrat sun nemi mataimakin shugaban ƙasa Mike Pence da ya fara bin matakan tabbatar da cewa Mista Trump bai cancanta ya ci gaba da zama a kujerarsa ba. Shugabar Majalisar Wakilai Nancy Pelosi da Shugaban ƴan jam'iyyar Democrat na majalisar dattijai Chuck Schumer sun ce a cire Trump daga kujerarsa don \"tunzura mutane da take dokokin rantsuwar shan mulki.\" A wata sanarwa ta haɗin gwiwa da suka fitar sun ce: \"Halayyar shugaban mai haɗari sun sa lallai ana bukatar cire shi daga mulki.\" Sun yi kira da cewa a yi amfani da sashe na 25 na kundin tsarin mulki don cire Trump daga mulki, sashen da ya bai wa mataimakin shugaban ƙsa damar maye gurbin shugaban idan har ya gaza yin ayyukansa yadda ya kamata. Sai dai babu alamar Mista Pence zai yi hakan. Idan bai yi ba, Mrs Pelosi da Mr Schumer sun ce za su fara bin matakan tsige shi. Sai dai babu isasshen lokacin yin hakan, cikin kwana 12 da suka yi wa Trump saura a karagar mulkin. A ranar Juma'a, Mrs Pelosi ta ce ta yi magan da babban jami'in sojin Amurka, shugaban rundunonin sojin ƙsar, da ya hana Mista Trump makullan nukiliya. A hannu guda kuma, daya daga cikin ma'aikatan Mts Pelosi ya ce an sace wata komfuta daga ofishinta a lokacin da ɓata garin suka shiga majalisar. Irin hargitsin da aka samu a cikin ginin Capitol Sharhi Sanarwar da Trump ya yi cewa ba zai halarci bikin rantsar da Biden ba tare da karya al'adar Amurka bai zo da mamaki ba. Sai a baya-bayan nan ne cikin rashin karsashi ya yarda da shan kayensa, bayan da ya shafe tsawon lokaci yana zargin cewa an yi masa maguɗi. Saƙon da ya wallafa a Tuwita ya sha bamban da abin da ya faɗa jiya a Fadar White House cewa komai ya wuce. Hakan na nuna cewa Trump bai karɓi ƙaddararsa da zuciya ɗaya ba. Sannan ba zai yi wa Biden maraba zuwa Washington ba kamar yadda ya alƙawarta cewa za a miƙa mulki cikin lumana. Ga alama ba ma zai zauna kusa da Washington ba a yayin da Biden zai isa fadar. A maimakon haka dai, Trump ɗin ya zama kashi biyu, ɗaya ya kan bayyana halayya daban a Tuwita ɗayan kuma ya kan faɗi abu daban a yayin jawabi daga fadarsa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/56483535", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56492371", "doc1": "ইস্তানবুলে বসবাসরত তুর্কী উইঘুররা গত মাসে একটি বিক্ষোভ করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লক্ষ লক্ষ উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন - যেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। চীন এগুলোকে 'সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: শিনজিয়াংএ উইঘুরদের সংখ্যা কমাতে চাকরি দেয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে বহু দূরে উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন - তাতে চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন। এর পরপরই চীন - ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দশজন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।", "doc2": "China ta kafa sansanoni da dama domin tsare Musulmi 'yan Uighur, abin da ta ce tana yi ne don sake ilmantar da su da yaki da tsattsauran ra'ayi Gwanatin China ta tsare 'yan kabilar Uighur ne a sansanoni na musamman a yankin arewa maso yamma na Xinjiang, inda ake zargin ana gana musu azaba da sa su aikin dole da sauran nau'ukan cin zarafi. China ta musanta zarge-zargen da cewa sansanoni ne na bayar da tarbiyya don yaki da akidar tsattsauran ra'ayi, da koyar da sana'o'in hannu. Tursunay Ziawudun ta shafe wata tara a sansanin tsare Musulmi a Xinjiang a 2018 Kasashen na yammacin duniya sun dauki matakin sanya wa China takunkumin ne a wani tsari da kungiyar Tarayyar Turai da Birtaniya da Amurka da kuma Canada suka yi. Takunkumin da ya hada da na hana tafiye-tafiye da dakatar da kadara, ya shafi manyan jami'an gwamnatin China ne a yankin na Xinjiang, wadanda ake zargi da take hakkin Musulmin 'yan kabilar Uighur. To sai dai Chinar kamar a ko da yaushe ta musanta dukkanin zargin da ake yi mata na cin zarafin Musumin, tana cewa sansanonin da ta ajiye su, wurare ne na sake musu tarbiya don raba su da tsattsauran ra'ayi, Haka kuma ta mayar da martini da irin nata takunkumin a kan jami'an kasashen Turai. Musulman 'yan Uighur kan bayyana irin azabtarwar da ake musu a sansanonin tsarewar bayan sun tsira A kalamansa kan daukar matakin hukunta jami'an na China ta hanyar sanya musu takunkumi, Sakataren Harkokin Wajen Birtaniya Dominic Raab, ya ce, abin da ake yi wa Musulman 'yan Uighur tsabar take hakkin dana dam ne. Mista Raab ya ce cin zarafin nasu a Xinjiang na daya daga cikin take hakkin bil adama mafi muni a wannan zamani. Rabon da kungiyar Tarayyar Turai ta sanya wa China sabbin takunkumi a kan take hakkin dan adam tun 1989 a lokacin yamutsin dandalin Tiananmen Square, lokacin da jami'an tsaro a Beijing suka bude wuta a kan masu zanga-zangar tabbatar da dumokuradiyya. Wasu dakunan sansanin tsarewar, inda aka sanya karafuna da na'urorin daukar hoto a tagogin don tsaro A wata sanarwa Sakataren Harkokin Wajen Amurka Antony Blinken, ya ce China na aikata laifukan kisan kiyashi da cin zarafin dan adam. Ita ma ma'aikatar harkokin wajen Canada a wata sanarwa da ta fitar dangane da lamarin , cewa ta yi, tarin shedar da ake samu na nuna yadda hukumomin China ke take hakkin dan adam. An dauki matakin sanya takunkumin ne yayin da kasashen duniya ke kara sanya ido da bincike a kan yadda Chinar ke yi wa Musulmin 'yan Uighur. Masu sharhi na cewa Shugaba Xi Jinping da kansa ke tsara abin da ake yi wa 'yan Uighur An yi kiyasin akwai sama da 'yan Uighur miliyan daya da sauran tsirarun kabilu da ake tsare da su a sansanonin na China. Ana zargin gwamnatin kasar da tilasta yi wa matan Musulman aikin hana su haihuwa da kuma raba 'ya'ya da iyayensu. Gwamnatin China ta hana tashar talabijin ta BBC daukowa da kuma yada rahotanni kan batun na 'yan kabilar Uighur da kuma na cutar korona ."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48866220", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48858599", "doc1": "খোলামেলা পোশাক এবং যৌন বক্তব্য সংবলিত গানের কারণে নিকি মিনাজের বিশেষভাবে পরিচিত রয়েছে ১৮ই জুলাই জেদ্দা ওয়ার্ল্ড ফেস্টে এই র‍্যাপারের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সৌদি আরবে বিনোদনের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেয়া আর শিল্প খাতের প্রসারের সর্বশেষ উদাহরণ এই কনসার্ট। তবে ঘোষণাটি আসার পর থেকেই টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন ব্যবহারকারীরা। ''কল্পনা করুন যে, তিন বছর কোমায় থাকার পর আপনি জেগে উঠলেন আর প্রথমেই শুনতে পেলেন যে, নিকি মিনাজ সৌদি আরবে একটি সংগীত উৎসবে গান গাইতে যাচ্ছেন। আমি সত্যি মনে করতাম যে, অন্য একটা পৃথিবীতে আমি চলে গেছি।'' একজন লিখেছেন। আরো পড়ুন: সৌদি আরবে কি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সৌদি আরব - ইরান দ্বন্দ্ব: কে কার বন্ধু? সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি কবির তানেজা প্রশ্ন তুলেছেন, আয়োজকরা নিকি মিনাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে গুগলে তার সম্পর্কে জেনে নিয়েছে কিনা? আরেকজন প্রশ্ন করেছেন যে, আয়োজকরা নিকি মিনাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে গুগলে তার সম্পর্কে জেনে নিয়েছে কিনা? ''সৌদি আরবের কেউ নিশ্চয়ই নিকি মিনাজের ব্যাপারে গুগল করেনি, কেউ কি করেছে?'' টুইটারে লিখেছেন কবির তানেজা। তবে সব প্রতিক্রিয়া যে এরকম হালকা ধরণের তা নয়। একজন টুইট করেছেন যে, ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কার কাছাকাছি বিবেচনায় মিনাজের অনুষ্ঠান আয়োজন করা অসঙ্গত হবে। টুইটারে একটি ভিডিওতে মাথায় হিজাব পড়া একজন নারী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই সংগীতশিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যখন সৌদি নারীদের বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক। ''তিনি তার নিতম্বর ঝাঁকিয়ে গান গাইবেন আর গার সব গানই যেখানে যৌনতা ঘিরে, আর এরপর আপনি আমাকে বোরকা পড়তে বলবেন, সেটা কিভাবে হয়?''তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নিকি মিনাজের অনুষ্ঠান নিয়েই সৌদি আরবে প্রথম এ ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে তা নয়। এর আগে মারায়া ক্যারিকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠান না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল মানবাধিকার কর্মীরা। যদিও তিনি সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। সৌদি আরবের বিনোদন বিভাগের প্রধান, তুর্কি আল আল-শেখ জানুয়ারিতে একটি টুইট করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছেন শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর র‍্যাপার নেলি সমালোচনার মুখে পড়েন। বেশ কিছুদিন ধরে দেশটির বিনোদনের ওপর থেকে বেশ কিছু কড়াকড়ি তুলে নিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি দেশটির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে চান। দেশটির বিনোদন বিভাগের প্রধান, তুর্কি আল-শেখ জানুয়ারিতে একটি টুইট করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, '' আল্লাহ চাইলে, পরবর্তী ধাপের বিনোদনের মূল লক্ষ্য হবে নানা উৎসব, সার্কাস, মোবাইল থিম পার্ক, তরুণ-তরুণীদের বিনোদনের জন্য নানা কর্মসূচী নেয়া আর দেশীয় বিনোদন কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করা।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে সাতটি তথ্য জেনে রাখুন 'গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে' ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী?", "doc2": "Ana sa ran Nicki Minaj za ta je kasar ne ranar 18 ga watan Yuli a wajen taron raye-raye na shekara-shekara wato Jeddah World Fest. Duk da cewa wannan ba shi ne karo na farko da aka samu irin wannan sauyin ba, ana nuna damuwa kan zuwan Minaj ne musamman ganin irin shigar da mawakiyar ke yi a lokacin da take waka, a kuma kasar da ake yi wa kallon 'mai tsaurin ra'ayi'. Ana ganin cewa Yarima Mohammed bin Salman mai jiran gado ne ke kawo wadannan sauye-sauye a kasar musamman a bangaren nishadantarwa. A watan Fabrairun 2018 ne Saudiyya ta ce za ta ware kudi dala biliyan 64 domin bunkasa masana'antunta na nishadantarwa a cikin shekaru 10 masu zuwa. Shugaban hukumar da ke kula da harkokin nishadi a kasar ya ce an tsara shirya abubuwa kimanin 5,000 a bara kawai da suka kunshi har da bikin cashewa na Maroon 5 kamar irin wanda ake gudanarwa a Amurka. Shirin zuba jarin na cikin sabbin manufofin bunkasa tattalin arziki da ake kira Vision 2030 wanda Yarima mai jiran gado Mohammed bin Salman ya kaddamar shekaru biyu da suka gaba. Kafofin yada labaran Saudiyya sun ambato Ahmed bin Aqeel al-Khatib shugaban hukumar harakokin nishadi yana cewa, yana fatan za su dauki mutum 220,000 aiki a bangaren nishadi kafin karshen 2018. Yarima Mohammed bin Salman ya ayyana kudirinsa cewa yana son mayar da Saudiyya \"matsayin kasa mai sassaucin ra'ayin addini tare da bude kofa ga dukkanin addinai da al'adu da mutanen duniya\". Ga dai jerin wasu sauye-sauye da yariman ya kawo a bangaren nishadantarwa a kasar: Dage haramci kan sinima A watan Disambar 2018 ne, gwamnatin Saudiya ta dage haramci kan gidajen sinima. Tuni dai Saudiyyar ta sanar da bayar da damar bude gidajen nuna fina-finai a kasar. Tarukan casu Tawagar mawaka ta Cirque Éloize ce ta farko da suka yi casu a watan Janairun 2018 wanda shi ne karon farko a birnin Dammam na Saudiyya. Bikin casu na Cirque du Soleil irin wanda ake gudanarwa a kasashen Turai. Tuni dai Saudiyya ta fara aikin gina wajen casu a birnin Riyadh. Haka kuma kasar ta sanar da cewa za ta gayyaci mawaka irin su Jay Z da Mariah Carey da kuma taurarin 'yan kwallo irin su David Beckham. Dage haramcin tuki ga mata Kafain wannan lokaci sai dai a yi hayar direba ya tuka mata a mota A watan Satumbar 2018 ne gwamnatin Saudiyya ta sanar da dage haramcin tuki ga mata, kuma tuni aka fara bai wa matan lasisin tuki a Saudiyya. Kafin dage haramcin Saudiyya ta kasance kasa ta karshe a duniya da mata ba su da izinin yin tuki. Sai dai duk da wannan ci gaban ga matan Saudiyya, ana zargin hukumomin kasar da bin matakai na murkushe wadanda suka yi gwagwarmayar tabbatar da ba mata 'yancin tuki a kasar. Bude gidan rawa a Saudiyya Yawanci an fi samun gidajen rawa a kasashen Turawa Kazalika, a watan Yunin 2019 wani gidan rawa na birnbin Dubai a kasar Hadaddiyar Daular Larabawa mai suna White ya sanar da bude sabon gidan rawar da ya kira \"Halal Disco\" a Jiddah. Kafofin yada labarai na kasar sun tabbatar da bude gidan rawar wanda suka ce tsarinsa ya yi kama sosai da gidan casu na dare da aka sani, sai dai kuma ba za a dinga shan barasa a wajen ba. Shi ma gidan rawar na White ya ce wurin zai yi kama ne da dakin hira ba da mashaya ba. Bikin kafa Saudiyya da ya kawo gwamutsa mata da maza Ana iya ganin maza da mata a cakude a yayin bikin A karon farko an ba mata damar shiga wani filin wasanni don bikin zagayowar ranar 'yancin kan Masarautar Saudiyya. A watan Satumbar 2017 ne filin wasa na Sarki Fahad a Riyadh babban birnin ƙasar, ya maƙare da ɗaruruwan matan da suka yi ɗango don cin wannan gajiya. An ga mata a wasu lokuta ma cakuɗe da maza a kan kujeru suna karkaɗa tutocin Saudiyya albarkacin murnar ranar kafa Saudiyya. Rahotanni sun ce bukukuwan wani yunkuri ne na gwamnatin Sarki Salman don yaukaka alfahari da kasa da kuma inganta matsayin rayuwar Sa'udi. A wannan mako ne, Saudiyya ke shagulgulan cika shekara 87 da kafuwarta a matsayin ƙasa. Kallon 'yan kokawa na Amurka Ana son kokawar Turawa a Gabas ta Tsakiya A karon farko a watan Afrilun 2018 an bai wa mata da maza damar shiga kallon wasan kokawa na Turawan Amurka wato wrestling. An gudanar da damben kokawar na (WWE) a birnin Jiddah, kuma maza da mata ne suka shiga kallo wanda kafar telebijin din kasar ta nuna kai tsaye. Maza zalla ne suka fafata a kokawar a Saudiya yayin da aka haramta damben mata a kasar. Sai dai a yayin da mutane ke tsaka da kallon kokawar sai ga tallar damben mata suna gani sanye da kamfai da kananan riguna kamar yadda suka saba yin damben nasu. Gwamnatin Saudiyyar dai ta nemi gafara sakamakon kutsen da hoton bidiyon mata 'yan kokawar ya yi. Shigar mata wajen kallon kwallo Matan Saudia sun samu 'yancin shiga filayen wasanni don kallon wasan kwallon kafa da sauransu Kamfannin dillancin labaran kasar ne ya sanar da cewa daga yanzu za a rinka barin iyalan mutum da suka hada da mata da yara su rinka halartar filayen wasanni da ke manyan biranen kasar uku, wato na Riyadh da Jedda da kuma Dammam. Wannan sabon mataki dai ya fara aiki ne daga farkon shekarar 2018. Hakan dai wata 'yar dama ce a masauratar da ake killace mata a gidaje, domin a kara fito da su don shiga a dama da su a cikin al'umma. Tseren keken mata zalla Masu tseren keke sun shirya tsaf don tseren keke ta mata ta farko a Saudi Arabia A watan Afrilun 2018 ne kuma aka gudanar da tseren keken mata na farko a kasar Saudiyya, inda suka bai wa mutane da yawa mamaki a kasar ta masu ra'ayin mazan-jiya, musamman a shafukan sada zumunta. Kasar Saudiyya dai kasa ce da ta ginu kan al'amuran addini, kuma wadannan sauye-sauyen suna alamta yadda kasar ke sauya wa cikin sauri zuwa ga rayuwar da ake yayi a kasashen Turai. Sai dai wadannan sauye-sauyen da Yarima mai jiran gado Mohammed bin Salman yake bullowa da su a kasar, na sanya mutane cikin rudani da jawo ce-ce-ku-ce ba a Saudiyyar ba har ma a sauran kasashen musulmai na duniya. Ana kallon Saudiyya a matsayin wata jagora ta addinin musulunci, shi ya sa a duk lokacin da ta bullo da wani abu da ba a saba gani ba yake darsa shakku a zukatan wasu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48951683", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48954773", "doc1": "চিনিযুক্ত পানীয়র ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে এক লাখেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। গবেষণার ফলাফল ব্রিটিশ মেডিকেল জর্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্যারিসে সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন, রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া-ই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণায় এরকম কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি যার ভিত্তিতে এটাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। একারণে বিশেষজ্ঞরা আরো গবেষণার উপর জোর দিয়েছেন। চিনিযুক্ত পানীয় কোনগুলো? যেসব পানীয়তে ৫% এর বেশি চিনি আছে গবেষকরা সেগুলোকে চিনিযুক্ত পানীয় বলে বিবেচনা করেছেন। এসবের মধ্যে আছে ফলের রস (এমনকি বাড়তি চিনি না মেশানোর পরেও), সফট ড্রিঙ্ক, মিষ্টি মিল্কশেক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং চিনি দেওয়া চা ও কফি। গবেষকরা বাজারে জিরো-ক্যালোরি বলে যেসব পানীয় বিক্রি হয় সেসব ডায়েট ড্রিঙ্ক নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছেন এবং দেখেছেন এগুলোর সাথে ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই। এসব পানীয়তে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার মেশানো হয়। ফলের রস (বাড়তি চিনি না মেশালেও) সেটা চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই ধরা হয়েছে। কতোখানি ঝুঁকি? গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে যদি ১০০ মিলি লিটার চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া হয়, যা সপ্তাহে দুই ক্যান পানীয়র সমান, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়ে যায়। এরকম প্রতি ১,০০০ জনে ২২ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। \"এ থেকে ধারণা করা যায় যে চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার সাথে ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক আছে। তবে এবিষয়ে আরো বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে,\" বলেছেন ড. গ্রাহাম হুইলার, যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। এই গবেষণার সময় মোট ২,১৯৩ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬৯৩ জন স্তন ক্যান্সার, ২৯১ জন প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ১৬৬ জন মলনালী সংক্রান্ত বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই প্রমাণই কি যথেষ্ট? না। যেভাবে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে তা থেকে এর একটি ধরন বা প্যাটার্ন চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু এসব পরিসংখ্যান থেকে এর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি পান করার কারণে যে ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া গেছে গবেষণায় সেটি দেখা যায় নি। তাতে বলা হয়নি যারা বেশি পান করেছে (দিনে প্রায় ১৮৫ মিলিলিটার) তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যারা কম পান করেছে (দিনে ৩০মিলিলিটারেরও কম) তাদের তুলনায় বেশি। তবে যারা চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খান তাদের মধ্যে আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে যেসব থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সফট ড্রিঙ্কে প্রচুর চিনি থাকে। আরো পড়তে পারেন: ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় ফলে এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট করে বলা যায় না যে চিনিযুক্ত পানীয় ক্যান্সারের কারণ। \"গবেষণাটি যদিও ক্যান্সার ও চিনিযুক্ত পানীয়র মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেয়নি, তারপরেও চিনি খাওয়া যে কমিয়ে দেওয়া দরকার, এই গবেষণায় সেই গুরুত্ব উঠে এসেছে,\" বলেন ড. অ্যামেলিয়া লেক, টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, \"আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি।\" তাহলে কি স্থূলতা? কোন কোন ক্যান্সারের জন্যে প্রধান কারণ স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া। এবং খুব বেশি পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে গবেষণায় যা বলা হয়েছে এখানেই তার শেষ নয়। \"অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যায় - এটা একটা অংশ মাত্র। কিন্তু এর যে আরো বিষয় আছে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি,\" বলেন মাটিলডে তোভির, একজন গবেষক। ফরাসী গবেষকরা বলছেন, রক্তে চিনির মাত্রা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চা কফিতে চিনি খেলে সেটাও চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়, রঙিন করে তোলার জন্যে, সেগুলোও শরীরের জন্যে ক্ষতিকর, সেগুলোও ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণাতে এই প্রশ্নেরও জবাব নেই। প্যারিসের গবেষকরাও বলছেন, তাদের ফলাফলকে নিশ্চিত ভাবে ধরে নিতে হলে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা বলছেন, চিনিযুক্ত পানীয়র সাথে হৃদরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস- এসবের সম্পর্ক আছে। এজন্যে তারা চিনিযুক্ত পানীয়র ওপর আরো কর বাড়ানোর কথাও বলেছেন। তারা বলছেন, এর ফলে লোকেরা চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করছেন ভারতের 'দোসা কিং'", "doc2": "An gano alakar cutar da shan ababen zakin ne bayan da aka gudanar da wani bincike da aka wallafa a mujallar British Medical Journal, wanda kuma ya duba sama da mutane 100,000 a cikin shekaru biyar. Tawagar masanan ta Jami'ar Sorbonne Paris Cite ta nuna cewa tasirin da sikari ke yi a cikin jini na iya zama dalilin alakar. Sai dai har yanzu ba a tabbatar da sahihancin binciken ba kuma masana sun yi kira da a sake dubawa. Wadanne ne ababen sha masu zaki? Masanan sun bayyana su a matsayin lemukan da yawan sikarin da ke cikinsu ya wuce kashi biyar cikin dari. Ciki har da ruwan 'ya'yan itatuwa (ko ba a kara masu sikari ba), lemukan kwalba da madarar da aka kara wa sikari da lemukan kara kuzari da shayi da kofi da aka kara wa sikari. Tawagar masanan sun kuma duba ababen sha marasa zaki kuma sun gano cewa ba su da alaka da cutar dajin. Ya ya girman hadarin kamuwa da cutar dajin yake? Binciken ya gano cewa shan ababe masu zaki da yawansu ya kai mili lita 100 a rana na kara yiwuwar kamuwa da cutar daji da kashi 18%. Cikin mutane 1,000, mutum 22 sun kamu da cutar dajin. \"Don haka wannan na nuna cewa akwai sahihiyar alaka tsakanin shan ababen sha masu zaki da kamuwa da cutar daji kuma hakan na bukatar karin bincike,\" in ji Dakta Graham Wheeler, babban mai bincike a Asusun Binciken cutar Daji na Burtaniya. Cikin nau'o'in cutar daji 2,193 da aka gano a yayin binciken, guda 693 sankarar mama ce, guda 291 cutar dajin mafitsara ce sannan guda 166 na ciki ne da dubura. Kiba na daya daga cikin manyan abubuwan da ke janyo cutar daji, kuma yawan shan ababen sha masu zaki na janyo kiba. Sai dai binciken ya ce ba a nan gizo ke saka ba. Shin ko me ke faruwa? Masu binciken sun ce alakar na da nasaba da yawan sikari a cikin jini. Sun ce wasu sinadarai a cikin ababen sha, misali wadanda ke gyara launin abubuwan shan na iya haddasa cutukan. Sai dai binciken bai tantance gaskiyar yadda abin yake ba. Ko me kamfanonin ababen sha ke cewa? Kungiyar masu samar da ababen sha ta Burtaniya ta ce binciken ba shi da wata madafa. Darakta Janar na kungiyar, Gavin Partington ya kara da cewa: \"Babu wata illa a shan ababen sha masu zaki. \"Kasuwar ababen sha masu zaki na sane cewa akwai rawar da ya kamata ta taka domin yaki da matsananciyar kiba, don haka ne ma muka dauki matakin rage sikari a abubuwan shan.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53527726", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/53522240", "doc1": "জুম্মার নামাজে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং তুর্কী মন্ত্রিসভার ক'জন সদস্য। এর আগে গত ১০ই জুলাই এক তুর্কী আদালত সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়নি বলে রায় দেয় এবং এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার একে মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে আদেশ জারি করে। দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থোডক্স গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। বিশ্বের নানা দেশ থেকে এই ভবনটিকে মসজিদে রূপান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজের আগে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বহু মুসল্লি মসজিদের বাইরে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। আরো পড়তে পারেন: ৮৬ বছর পর ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়ায় শোনা গেল আজান ধ্বনি তুরস্কের হাইয়া সোফিয়ায় নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্কের কারণ কী? তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী বলছেন, হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরে এক হাজার মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারবেন। কিন্তু এর আগেই হাজার হাজার মানুষ মসজিদটির আশেপাশে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বসে পড়েন। প্রথম দিনের জামাতে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সাথে সামিল হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান। তুর্কী ধর্মমন্ত্রী আলী এরবাস জানিয়েছেন, নতুন মসজিদের জন্য তিন জন ইমামকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেহমেত বয়নুকালিন ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী আইন বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী এরলিকায়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলার স্বার্থে জুম্মার নামাজের মুসল্লিদের 'ফেসমাস্ক, জায়নামাজ, ধৈর্য এবং সহানুভূতি' নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করার পরামর্শ দেন। সাহায্যের জন্য মসজিদ ও তার আশেপাশে স্বাস্থ্য কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলে তিনি জানান। প্রথম জুম্মাকে কেন্দ্র করে হাইয়া সোফিয়া মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাইয়া সোফিয়ায় প্রথম জুম্মার দিনের ভিডিও (সৌজন্যে বিবিসি তুর্কী বিভাগ): হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাস: হাইয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন। হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরের দৃশ্য।", "doc2": "Masu ibada sun shimfida tabarmunsu a wajen ginin Hagia Sophia, suna jira a tayar da Sallah \"Musulmi sun cika da ɗoki, kowa yana son zuwa wurin bude masallacin,\" in ji Gwamnan Santambul Ali Yerlikaya. Shugaban Turkiyya Recep Tayyip Erdogan ya jagoranci manyan ministoci wajen yin Sallah a masallacin Matakin na zuwa ne bayan sanarwar da gwamnatin Shugaba Erdogan ta bayar don mayar da ginin zuwa masallaci a watan jiya. Tun ainihi dai an gina Hagia Sophia a matsayin cocin daular gabashin Roma ko kuma Byzantine, amma sai aka mayar da shi zuwa masallaci bayan cin birnin Santambul da daular Ottoman ta yi a 1453. A 1935 ne kuma, mutumin da ya assasa Turkiyyar zamani wadda ba ruwanta da addini, Kemal Ataturk, ya mayar da Hagia Sophia zuwa ginin adana kayan tarihi. Shugaban Turkiyya ya jagoranci manyan ministoci wajen yin Sallah a masallacin A wajen Hagia Sophia Daga Neyran Elden, BBC Turkish Dubun dubatar maza da mata ne suka jira kiran Sallah; mutane da dama sun baro wasu jihohi da ke fadin kasar inda suka tafi Santambul domin yin Sallah. Masallata sun shimfida tabarmi a wajen masallacin. Wasu kuma sun samu wuri a karkashin bishiyoyi. An tsaurara tsaro a harabar ginin mai dimbin tarihi; a wani gefen, masallata da dama ne suka karya shingen da 'yan sanda suka girke. Wani rukunin jama'a sun rika daga tutar kasar Turkiyya a ginin na Hagia Sophia suna cewa \"Allahu Akbar\". Mutum 1,000 ne za su rika shiga ginin na Hagia Sophia a lokaci guda Ko da yake wasu 'yan kasar ta Turkiyya sun soki mayar da ginin tarihin masallaci, amma akasarin 'yan kasar sun yi matukar murna da yin hakan. Wata mata mai shekara 45 ta ce tana son Hagia Sophia a matsayin ginin tarihi, kuma \"ko da yaushe ina kallonsa a matsayin ginin mai kyawu.\" A farkon wannan wata, Fafaroma Francis ya ce bai ji daɗin shawarar Turkiyya ba, ta sake mayar da ginin zuwa masallaci. Wakilin BBC kan harkokin diflomasiyya ya ce: \"Juma'a 24 ga watan Yuli, rana ce da ta buɗe wani sabon babi cikin ɗumbin tarihin Hagia Sophia mai dogon zamani.\" Gini, wanda ya shafe tsawon shekara 900 a matsayin coci, ya koma masallaci tsawon shekara 500, kafin ya yi shekara tamanin a matsayin ginin adana kayan tarihi. Kuma a Juma'ar nan ce, albarkacin gwagwarmayar da ƙungiyoyin Turkawa masu kishin addinin Musulunci suka shafe tsawon shekaru gommai suna yi da kuma burin Shugaba Erdogan, Hagia Sofia ta sake zama masallaci. Ga magoya bayan shugaban ƙasar masu ra'ayin 'yan mazan jiya, wannan lokaci ne mai cike da ɗumbin alfahari da ƙasarsu Turkiyya. Ga Turkawa masu ra'ayin ƙasar da ba ruwanta da addini, zargin cewa Mista Erdogan yana sake tunkuɗa Turkiyya don komawa tsarin mulkin Musulunci, abin fargaba ne da ban takaici. Shi dai Erdogan ya ce masu irin wannan tunani da ma Kiristoci, babu wani abu da zai razana su. Za a ci gaba da buɗe ginin Hagia Sophia ga kowa kuma ba za a taɓa mashahurin zayyanar adon bangwayenta na zamanin Byzantine ba, ko da yake, za a dusashe su a lokutan salloli cewar shugaban. Sai dai daɗin bakin shugaban da karkata hankalinsa ga tarihin daular Ottoman na Turkiyya na nuni da wani faffaɗan burin siyasa, wanda zai sa a riƙa kallonsa a matsayin ɗaya daga cikin shugabannin Musulmin duniya da ya suka gaban kowa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57153307", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-57152994", "doc1": "মি. বাইডেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানইয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। মি. বাইডেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানইয়াহুকে বলেছেন, সহিংসতা বন্ধে মিশর ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে একত্রে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আবার একই সাথে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশের চেষ্টা আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে তিনবার ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের চেষ্টাকে আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, \"বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের চেষ্টা করার জন্য ইসরাইলকে উৎসাহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।\" নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২১২ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬১টি শিশু রয়েছে। যদিও ইসরায়েল বলছে হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু অনিচ্ছাকৃত। ইসরাইলের দাবি নিহতদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি জঙ্গি। তবে গাযার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামার এই দাবি অস্বীকার করেছে। এই সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক আহবান অব্যাহত রয়েছে। গাযায় আটদিন ধরে ভয়াবহ মাত্রায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গড়ে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ বার ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান গাযায় উড়ে গিয়ে বোমা ফেলছে। সেইসাথে চলছে সীমান্ত থেকে দূরপাল্লার কামানের গোলা হামাসও গাযা থেকে তেল আবিব সহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে তিন হাজারের বেশি রকেট ছুঁড়েছে, বলছে ইসরাইল। সম্পর্কিত খবর: চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বেশি 'প্রাণঘাতী দিন' ছিল রোববার গাযায় এবার কী লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে ইসরায়েল গাযায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হলো আল-জাজিরার অফিস টিকটক-এ যেভাবে ভাইরাল হচ্ছে ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাতের খবর গুগল ম্যাপে গাযার স্যাটেলাইট ছবি কেন ঝাপসা", "doc2": "Kungiyar agaji ta Red Cross tana daga cikin masu tallafa wa harkokin kula da lafiya a Gaza Yayin wani kiran waya da Firayim Ministan Isra'ila, Benjamin Netanyahu, Mista Biden ya ce Amurka na aiki tare da Masar da wasu kasashe don dakatar da yakin. Wata sanarwa da fadar shugaban ta White House ta fitar, ta ruwaito shi yana kira ga Isra'ila da ta yi duk mai yiwuwa don tabbatar da kare fararen hula. Ya kuma jaddada goyon bayansa ga 'yancin Isra'ila na kare kanta daga hare-haren rokokin da ake kai mata, don haka ba wai ya canja alkibla ba ne, face kawai amsa kiran da ake ta faman yi na ya goyi bayan tsagaita wuta. A bangare guda kuma rundunar sojin Isra'ila ta ce ta mayar da martani ta hanyar harba manyan bindigu zuwa Lebanon, bayan harba mata rokoki 6 daga cikin kasar. Wannan na zuwa ne yayin kungiyar Hamas mai fafutukar kare Falasdinawa ke ci gaba da harba rokoki zuwa kudancin Isra'ilar. Taimakon magunguna da sauran kayayyakin asibiti da kasar Masar ta aika sun fara isa hannun jami'an lafiya na birnin Gaza. Alkaluma na baya-bayan nan sun nuna cewa hare-haren sama da Isra'ila ke kai wa birnin a mako na biyu na rikici tsakaninta da 'yan gwagwarmayar Falasdinawa sun yi sanadin mutuwar Falasdinawa sama da dari biyu da raunata sama da 1,250. Haka kuma motocin daukar marasa lafiya na Masar din na ta jigilar Falasdinawa da aka jikkata zuwa asibitoci a birnin Sinai da Alkahira. Irin mawuyacin halin da aka shiga sakamakon munanan hare-haren da Isra'ila ke ci gaba da kaiwa ta sama a birnin na Gaza da suka katse wutar lantarki da lalata tituna da haddasa karancin mai da sauran abubuwa na jin dadin jama'a, ga kuma wadanda ke mutuwa da jikkata daga hare-haren ya sa gwamnatin Masar ta shiga domin taimakawa. Yadda Isra'ila ke kai hare-hare ta sama Gaza ke nan Daman Hukumar Lafiya ta Duniya, WHO, ta yi kira ga shugabannin Isra'ila da Falasdinawa da su kare ma'ikatan lafiya da asibitoci da sauran abubuwan jin dadin jama'a, inda ta kara da cewa rikicin ya yi matukar shafar aikin gwajin kwayar cutar korona da kuma na riga-kafinta. Mohammad Abu Rayya, likitan yara ne a Gaza ya bayyana yanayin da ake ciki a asibitinsa. Ya ce: \"A kullum muna karbar wadanda hare-haren suka rutsa da su, masu bukatar kulawar gaggawa, muna karbar gawawwaki. \"Ba mu da dakin ajiye gawa babba, da zai iya daukar wadanda aka kashe da kuma gawawwaki. Halin da ake ciki a Gaza na ta tabarbarewa.'' Likitan Mohammad Abu Rayya, ya ce an lalata babban titin birnin na Gaza, wanda ta nan ne ake zuwa asibitocin birnin. Ya ce mutanen da hare-haren ke tasa daga gidajensu daga yankin arewaci na tururuwa zuwa cikin birnin Gaza, inda suke fakewa a makarantun Majalisar Dinkin Duniya, wanda hakan zai haddasa babbar annoba, da daman ana fama da annobar korona, mutane ne da ba su da komai, ba abinci, ba ruwa, ba su da ko katifa. Ya ce ana bukatar a kalla shekara 10 a gyara abubuwan da Isra'ila ta lalata a Gaza. Isra'ila ta ci gaba da ruwan bama-bamai da ke lalata Gaza Hukumar Majalisar Dinkin Duniya mai kula da Falasdinawa 'yan gudun hijira, wadda ke taimaka wa Falasdinawan a Gaza, da yankin Gabar Yamma da Kogin Jordan da Jordan da Syria da Lebanon tsawon gomman shekaru ta ce halin da ake ciki ya zama tamkar na wanda ana kukan targade sai kuma ga karaya. Tamara Alrifai ita ce mai magana da yawun hukumar, ta ce: ''Gaza na ganin hare-hare na sama da tshin hankali mafiya tsanani wajen asarar rayuk da lalat kayayyakin jin dadin jama'a, da kuma kaduwar jama'a tun shekara ta 2014 Gaza ta kasance a kulle tsawon shekara 14, abin da ya raunana tattalin arzikinta gaba daya, kum hakan ya karya duk wani kwarin guiwa da burin matasa. Rashin aikin yi ya yi tsanani, sannan kuma a shekarar da ta wuce sai ga annobar korona da ita ma ta shafi birnin na Gaza ainun, to gaba daya dai, lamarin ya jefa mawuyacin halin da daman ake ciki zuwa wani mataki na lahaula.'' Benjamin Netanyahu shi ne jagoran Isra'ila da ya fi dadewa a mulki kuma na farko da aka tuhuma a kasar Yanzu dai ba wutar lantarki a yawancin sassan birnin na Gaza , abin da ke shafar gudanar da ayyukan kula da jama'a. Israila ta kuma gaya wa Majalisar Dinkin Duniya cewa, akwai hadarin barin motocin dakon mai su shiga birnin. Masar ta tura motocin mai amma zuwa lokaciun hada wannan rahoto ba su kai ga tsallaka wa iyakar Rafah ba. A yunkurin dakatar da bude wuta kuma, wanda bai taka kara ya karya ba, shugaba Biden na Amurka ya gaya wa Firaminista Benjamin Netanyahu na Isra'ila cewa yana son ganin an dakata da rikicin a Gaza. Sau uku gwamnatin Biden ta Amurka ta hana kwamitin tsaro na Majalisar Dinkin Duniya fitar da sanarwar umarnin dakatar da Isra'ila kai hare-haren Gaza Biden ya yi maganar ne ta waya kwana daya bayan da Kwamitin tsaro na Majalisar Dinkin Duniya ya kasa cimma matsaya a kan sanarwar da zai fitar a kan rikicin, bayan da gwamnatin Amurkar ta Misa Biden ta hau kujerar-naki a kai. Netanyahu (a dama), kyaftin ne a rundunar zaratan dakarun Isra'ila na musamman; Sayeret Matkal Firaministan Isra'ila Benjamin Netanyahu ya jaddada cewa za su ci gaba da ruwan bama-bamai a Gaza har sai abin da hali ya yi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55781266", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55766560", "doc1": "ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ইরান বলছে যে কোনো বোঝাপড়ার আগে নিষেধাজ্ঞা ওঠাতে হবে। চ্যালেঞ্জের সেই তালিকা তিনি শেষ করেন “বিশ্বে আমেরিকার ভূমিকা“ দিয়ে। মি. বাইডেনের সেই পরীক্ষার সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলো আসবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। জো বাইডেনের কূটনীতি এবং পররাষ্ট্র সামলানোর দায়িত্ব যারা পেয়েছেন তাদের অনেকেই ওবামা সরকারে ছিলেন। তাদের সময়কালে যেসব সমস্যার সমাধান তারা দিয়ে যেতে পারেননি, সেদিকে নজর দিতে গিয়ে তারা দেখবেন বাস্তবতা গত চার বছরে অনেক বদলে গেছে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা তারা খাবেন যখন দেখবেন যেসব নীতি তারাই প্রণয়ন করেছিলেন, তার অনেকগুলোও উধাও হয়ে গেছে বা জটিল চেহারা নিয়েছে। কিন্তু অনেক আবার মনে করছেন, নতুন এই বাস্তবতার মধ্যে সুযোগও তৈরি হয়েছে। ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সম্পর্কিত খবর: মাথা কে নোয়ালো - সৌদি আরব, আমিরাত নাকি কাতার? ইরান কি সত্যি আল-কায়েদার নতুন ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে? সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? \"নতুন প্রশাসনের লোকজন বুঝতে পারছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে ওবামা সরকারের নীতিতে গলদ কোথায় ছিল,\" বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগী এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের গবেষক কিম ঘাতাস। “বাইডেনের প্রশাসন হয়তো নতুন পথে হাঁটবেন, কারণ তারা অতীতে তাদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। তাছাড়া, চার বছর আগের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্য এখন অনেকটাই ভিন্ন,“ বলছেন মিজ ঘাতাস যিনি সম্প্রতি সৌদি-ইরান শত্রুতা নিয়ে ব্ল্যাক ওয়েব নামে একটি বই লিখেছেন। ফাইলের প্রথম পাতায় ইরান আমেরিকার নতুন প্রশাসনের বিদেশ নীতির ফাইলে প্রথমেই রয়েছে ইরান। দু'হাজার পনের সালে ইরানকে পারমানবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে ওবামা প্রশাসনের উদ্যোগে বহুপাক্ষিক যে ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প তা থেকে আমেরিকাকে বের করে আনার পর চুক্তিটি এখন সুতোয় ঝুলছে। যে কোনো সময় ছিঁড়ে পড়তে পারে। সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমানকে শর্তহীন সমর্থন দিয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সাথে ইয়েমেনে চলমান রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বন্ধ বাইডেন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য, যদিও ইরানের সাথে চুক্তির ফলে ক্রদ্ধ সৌদি আরবকে শান্ত করতে বারাক ওবামা শুরুর দিকে ইয়েমেনের যুদ্ধকে সমর্থন করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়ে তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। ঐ সফরে তিনি ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেন যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি। নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু বাংলাদেশ সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প: সম্ভাব্য ঝুঁকি কী যে নারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পুরুষ কেন ধর্ষণ করে’ তখন থেকে শুরু হয় সৌদি আরবের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য এবং ইরানকে যতটা সম্ভব চাপে রাখার নীতি। সেই নীতির পথ ধরেই ইসরায়েল এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে হালে নতুন এক জোট তৈরি হয়েছে। “ওবামা প্রশাসনে যে মানুষগুলো ছিলেন তাদের ক'জনকে এখন খুবই উদ্যমী ভূমিকা রাখতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এখন এটাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয়,“ বলছিলেন হাসান হাসান। তিনি মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাময়িকী নিউজলাইনের সম্পাদক। “আরব দেশগুলো মনে করতো আমেরিকার নেতৃত্ব ছাড়াই তারা এই অঞ্চলের মানচিত্র নিজেরাই নতুন করে তৈরি করে নিতে পারবে। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে সেই চেষ্টা করার পর তারা এখন বুঝতে পারছে লিবিয়া, ইরান এবং এমনকি ক্ষুদ্র একটি দেশ কাতারের ব্যাপারেও তাদের ক্ষমতা সীমিত।“ পুরনো মিত্রদের সাথে নতুন সম্পর্কের সূচনা আমেরিকার নতুন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের শুরুর দিকে রয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, “শুরুতেই এই অঞ্চলে আমাদের মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে তাদের সাথে কথা শুরু খুবই প্রয়োজন। এই মিত্রদের মধ্যে যেমন ইসরায়েল রয়েছে তেমনি উপসাগরীয় দেশগুলোও রয়েছে।“ চার ঘণ্টা ধরে চলা এই শুনানির সময় তিনি বার বার গুরুত্ব দিয়ে ইরানের প্রসঙ্গ টেনেছেন। মি. ব্লিনকেন - যিনি বহুদিন ধরে মি. ওবামা এবং মি. বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন - তিনি বলেন, পরমাণু কর্মসূচি ছাড়াও ইরানের “অস্থিরতা তৈরির তৎপরতা“ এবং তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে নতুন মীমাংসা প্রয়োজন। পশ্চিমা দেশগুলোরও একই মতামত। তবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে করা চুক্তি - যেটিকে বহুপাক্ষিক কূটনীতির বিরল একটি সাফল্য হিসাবে দেখা হয় - ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইবেনা বাইডেন প্রশাসন। “আপনি যদি বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতি, পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া লোকগুলোর দিকে তাকান, দেখবেন তাদের অনেকেই ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন,“ বলেন এলি জেরানমায়ে, যিনি বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক ইউরোপীয় কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা বিভাগের উপ-পরিচালক। “বাইডেন শিবির এবং ইরানের নেতৃত্ব উভয়েই একমত যে এই চুক্তির সব পক্ষকে একত্রিত করে চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এবং এ কাজটি তাদের দ্রুত করতে হবে।“ চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়া এবং ইরানের ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে তেহরান পারমাণবিক চুক্তিতে করা প্রতিশ্রুতি থেকে ধীরে ধীর দূরে সরে যাচেছ। সম্প্রতি তেহরান ইউরেনিয়াম শোধনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন। ইরানের নেতারা অবশ্য ক্রমাগত বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে তারাও চুক্তি অনুসরণ করবে। ইরান চায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাপানো সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে গত চার বছরে ইরানের অভ্যন্তরে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে ভরসা কমেছে। বাইডেন প্রশাসন দেশের ভেতরও ওজর-আপত্তির মুখোমুখি হতে পারে। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেস, যাদের মধ্যে পররাষ্ট্র নীতির অনেক অভিজ্ঞ লোকজন এখন রয়েছেন, তারা বিদেশ নীতিতে অধিকতর মতামতের অধিকার চাইছেন। ইরান-বিরোধী লোকজন কংগ্রেসে ভর্তি। খাসোগজি এবং সৌদি আরব ইরান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে আরো যেসব বিষয়ের দিকে বাইডেন প্রশাসন নজর দেবে তার মধ্যে রয়েছে: ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ করা, ইসরায়েল-আরব শান্তি চুক্তি, সৌদি আরবে মানবাধিকার, বিরোধী মতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন এবং সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ড। কিন্তু ইরানের সাথে কি চুক্তি হবে তার প্রভাব এসব বিষয়ের ওপর গিয়েও পড়বে। মি. বাইডেন যাকে তার জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক হিসাবে নিয়োগ করেছেন কংগ্রেসে তার নিয়োগের শুনানির সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প সরকারের “বেআইনি তৎপরতা“ তিনি বন্ধ করবেন কিনা এবং সাংবাদিক খাসোগজি হত্যার একটি পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট তিনি কংগ্রেসকে দেবেন কিনা। উত্তরে আভরিল হেইনস বলেন, “হ্যাঁ সেনেটর, অবশ্যই। আমরা আইন অনুসরণ করবো।“ গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নির্ভরযোগ্য মিডিয়া বলে আসছে, সিআইএর কাছে বেশ জোরালো প্রমাণ রয়েছে যে সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমানই জামাল খাসোগজির হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সৌদি যুবরাজ অবশ্য সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু মি. বাইডেন কি এ নিয়ে সৌদি যুবরাজকে শায়েস্তা করতে পারবেন? “আমেরিকানদের উচিৎ যুবরাজকে তাদের সন্দেহের দৃষ্টি থেকে সরানো, কারণ সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এ ব্যাপারে সেই,“ বিবিসিকে বলেন সৌদি লেখক এবং বিশ্লেষক আলি শিহাবি। “সিআইএ হোক আর পেন্টাগন হোক বা পররাষ্ট্র দপ্তর হোক, সৌদি আরব যে আমেরিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাস্তবতা তাদের বুঝতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো কিছু করার জন্য সৌদি আরবকে তাদের দরকার।“ তবে অনেক বিষয়ে সৌদি এবং আমেরিকার নীতির মধ্যে ঐক্যমত্য হওয়া সম্ভব। যেমন, ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক বিষয়ের মতো এই সমস্যারও সহজ কোনো সমাধান নেই। “সৌদি আরবের জন্য সামরিক সহযোগিতা বন্ধ অতটা সহজ নয়।,“ বলছেন পিটার স্যালসবেরি, যিনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইয়েমেন বিশেষজ্ঞ। “যুক্তরাষ্ট্র যদি সেখানে শান্তি চায় তাহলে কূটনৈতিকভাবে তাদের আরো তৎপর হতে হবে।“ কূটনৈতিক সেই তৎপরতায় অপ্রীতিকর বহু বিষয় উঠে আসবেই, বিশেষ করে মানবাধিকারকে যখন বাইডেন প্রশাসন তাদের এজেন্ডায় জায়গা দিয়েছেন। তার অর্থ, রিয়াদ থেকে শুরু করে তেহরান, কায়রো বা অন্যত্র কথাবার্তা বলার সময় জটিল এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে হবে। অনেকেই নজর রাখবেন এইসব কথাবার্তা শুধুই কি ফাঁকা বুলি নাকি আমেরিকা এসবের বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেবে। মধ্যপ্রাচ্যের নতুন বাস্তবতা তবে নতুন নীতি নিয়ে এগুলেও, বাইডেনকে তার পূর্বসূরীর অনেক পদক্ষেপকে মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। যেমন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তি অর্থাৎ ইসরায়েলের সাথে কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের চুক্তির প্রশংসা বিভিন্ন মহলে হচ্ছে। মি. বাইডেনও এই সম্পর্কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. ব্লিনকেন বলেছেন, ঐ সব চুক্তির শর্তগুলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। ইউএই‘র কাছে অস্ত্র বিক্রি বা বিতর্কিত ওয়েস্টার্ন সাহারা অঞ্চলে মরক্কোর সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। ইরাক, সিরিয়া এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট, আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেটের অব্যাহত তৎপরতার দিকেও নজর দিতেই হবে জো বাইডেনকে, যিনি নিজের দেশেই নতুন করে উগ্রবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন। “আমি মনে করি নতুন সুযোগ হাজির হয়েছে, “ বলছেন কিম ঘাতাস। “কঠিন হবে, কিন্তু বিশ্বে আমেরিকার ভূমিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নতুন চিন্তার সুযোগ তৈরি হয়েছে।“", "doc2": "Kungiyar 'yan tawayen Houthi da ke kasar Yemen ta soki gwamnatin Trump bisa sanya ta a cikin kungiyoyin 'yan ta'adda Wasu daga cikin tambayoyin da za su yi wuyar amsawa su ne a kan lamuran Gabas ta Tsakiya. Tsofaffin hannu ne suka fi yawa a cikin gwamnatin Joe Biden, mafi yawansu sun yi aiki da gwamnatin Obama, kums sun dawo domin su sake bibiyar tsofaffin matsalolin da ake fuskanta a baya. Antony Blinken ya yi alkawarin tuntubar kawayen Amurka kafin ya sake shiga shirin tattaunawar Iran kan makamashin nukiliya Manyan kalubalen da za su fuskanta sun hada da tsare-tsaren da a baya suka taimaka domin a aiwatar - a wuraren da al'amuran tsaro suka tabarbare a yanzu. \"Sun dauki darasi daga abubuwan da aka samu kuskure a cikinsu lokacin gwamnati Obama a Gabas ta Tsakiya,\" in ji Kim Ghattas, jami'a a cibiyar kula da harkokin kasashen waje ta Carnegie Endowment for International Peace, kuma marubuciyar littafin \"Black Wave\" wanda ta yi kan rikicin Saudiyya da Iran a yankin Gabas ta Tsakiya. \"Za su iya kallon abubuwan da ke faruwar ta wata mahangar ta daban, saboda sun san kuskuren da aka yi a baya, kuma yanzu yankin ya sauya ba kamar yadda suka san shi a baya ba.\" Manyan batutuwan da ke gaban wannan gwamnatin kan harkokin kasashen wajen sun hada da maganar Iran. Yarjejeniyar makamin nukiliya da aka cimma da kasashen duniya yanzu na cikin wani hali bayan da Donald Trump ya yi watsi da ita da kuma sanya wa Iran jerin takunkumi. Akwai mummunan yakin Yemen da ya yi kaca-kaca da kasar, wanda Obama ya goyi bayansa. Donald Trump ya sha kare manufofin Yarima mai jiran gadon Saudiyya Mohammed bin Salman Shugaba Trump ya fara gwamnatinsa da wani abu na daban, wanda shi ne zaben Saudiyya a matsayin kawa ta farko a watan Mayu a 2017, inda ya sanya hannu kan yarjejeniyar makamai ta dala biliyan 110 wanda shi ne ciniki mafi girma a tarihin Amurka. Hakan ya ba da dama ta tsara manufofi a kan Gabas ta Tsakiya tare da biyayya ga masarautar Saudiyya sannan da matsin lamba ga Iran. \"Kwararrun masana diflomasiyya kuma tsofaffin hannu da suka yi aiki da Obama lamarin yankin ke bukata,\" in ji Hassan Hassan, editan mujallar Newslines, wadda ta mayar da hankali kan harkokin yankin. Ya kara da cewa: \"A ganin kasashen Larabawa za su iya shawo kan matsalar siyasar da ta addabi yankin ba tare da jagorancin Amurka ba. Amma bayan kusan shekara biyar da suka yi kokarin hakan, sun gano ba za su iya ba musamman a wuraren kamar Libya da Yemen da Iran har a 'yar karamar kasar da ke makwabtaka Qatar.\" Majalaisar Dinkin Duniya ta yi gargadin cewa yanke hulda da 'yan tawayen Houthi zai iya jefa Yemen cikin matsalar fari Mayar da hankali wurin jawo tsofaffin kawayen Amurka na daga cikin manyan abubuwan da wannan sabuwar tawagar ta sanya a gaba. \"Yana da matukar muhimmanci yadda za mu kara azama, ba gwiwarmu ta yi sanyi ba, mu da kawayenmu na yankin, mu sanya Isra'ila da kasashen yankin Gulf,\" kamar yadda Antony Blinken ya nema, wanda ake sa ran za a nada sakataren harkokin wajen kasar idan majalisar dattawa ta amince. Mista Blinken, wanda ya yi aiki da Obama da Biden a baya, ya jaddada cewa sabuwar yarjejeniyar za ta iya kawo karshen ayyukan Iran da ba su kamata ba a yankin, da kuma kokarinta na samar da makami mai cin dogon zango - karin wasu damuwa biyu da suka kamata a tattauna da kasashen yamma. Bugu da kari gwamnatin Biden ba za ta so a shure yarjejeniyar 2015 ba wadda ake kallo a matsayin wata gagarumar nasarar. Amurka da kawayenta suna son kawar da shirin Iran na kera makamashin nukiliya \"Idan ka dubi wadanda Biden zai nada a matsayin jami'an harkokin kasashen waje, da maganar daina samar da nukiliya da kuma harkokin baitul malin kasar, da yawa da su aka yi maganar nukiliya a baya, wasu kuma da su aka sanya hannu kan yarjejeniyar,\" in ji Ellie Geranmayeh, mataimakiyar darakta kan harkokin yankin Gabas ta Tsakiya da Arewacin Afrika a hukumar Tarayyar Turai kan harkokin kasashen ketare. Tun bayan ficewar Amurka daga yarjejeniyar, Tehran ke nesa-nesa daga wannan yarjejeniyar ta samar da makamin nukiliya. Sanarwar da ta yi a baya-bayan nan cewa za ta koma aikin samar da makamin nukiya zuwa kashi 20 cikin 100 - sama da iyakar da aka amince mata. Shugabannin Iran sun sha maimaita cewa za su koma kan yarjejeniyar matukar Amurka ita ma ta koma. Amma matsalolin cikin gida da suka rika tasowa ba tare da an shirya musu ba cikin shekaru hudun da suka gabata sun kara ta'azzara al'amura. Sabuwar gwamnatin za ta fuskanci wasu hasashen cikin gida. Sabuwar majalisar Amurkan da ke cike da tsofaffin jami'an harkokin waje ta ce tana bukatar abubuwa su gyaru a Gabas ta Tsakiya wanda hakan ke nufin komai da zai fito daga Iran za a yi shi kan yarjejeniyar ne, kawo karshen sojojin Saudiyya da ke taimaka wa a yakin Yemen, dakarun zaman lafiya na hadin gwiwar da Saudiyya ke jagoranta, da kuma maganar kare hakkin dan adam a Saudiyya, ciki har da maganar tsare wadanda ake zargi da kashe dan jaridar nan Jamal Khashoggi. Shugaban Iran Hassan Rouhani ya ce shirin Mr Trump' na \"matsa wa kasata lamba\" bai yi nasara ba An tambayi daraktar ma'aikatar leken asiri ta sabuwar gwamnatin Biden, Avril Haines, maganar bin doka da kuma gabatar da rahoton kisan gillar da aka yi wa Khashoggi da ake zargin wasu jami'an Saudiyya da yi a ofishin jakadancin kasar da ke Istanbul a watan Oktobar 2018. Sai ta kada baki ta ce: \"Kwarai kuwa, za mu yi aiki da doka.\" Kamar yadda wasu rahotannin sirri suka bayyana ma'aikatar tsaro ta CIA na da tabbacin Yarima Mohammed bin Salman mai jiran gado shi ya ba da umarnin a yi wannan kisa. Sai dai ya sha musanta wannan zargi. Saudi yya ta yi watsi da zargin da ake yi Yarima mai jiran gado kan kisan Jamal Khashoggi Akwai wasu manyan abubuwa da aka sanya a gaba, ciki har da kawo karshen yakin Yemen. Amma kamar ko wane irin batu shi kan shi wannan ba abu ba ne mai sauki. \"Ba sauki ba ne da shi kamar kawo karshen taimakon sojin Saudiyya,\" kamar yadda Salisbury, wani babban mai sharhi na kasar Yemen da ke aiki da kungiyar da ke bibiyar rikice-rikice ta duniya, ya ja kunne. \"Idan Amurka na son samar da zaman lafiya a nan, ya kamata ta kara zama mai ruwa da tsaki kan diflomasiyya.\" Diflomasiyyar za ta hada da samar da sauye-sauye na gani na fada, musamman idan wannan gwamnatin ta sanya kare hakkin dan adam cikin manyan abubuwan da ta sa a gaba. Wanda hakan ke nufin wani lamari mai wuyar sha'ani a ko ina cikin kasashen Saudiyya da Iran da Masar da sauran kasashen. Da yawa za su kagu domin ganin yadda za a aiwatar da wannan magana. Gwamnatin Trump ta sasanta Isra'ila da wasu kasashen Larabawa Kammala wasu kasuwanci da kawo karshen yake-yaken Iraki da Syria da kuma na Falasdinawa da Isra'ila, ga sabon kalubalen da ake fuskanta a Lebanon; kawo karshen barazanar al-Qaeeda da kuma IS ba karamin aiki ba ne ga gwamnatin da take fuskantar nata matsalolin na cikin gida. \"Ina ganin dole za a samu wani lokacin da zai dace,\" in ji Kim Ghattas. \"Zai yi matukar ba da wahala. Amma akwai lokacin da Amurka za ta sake tunani a kan rawar da za ta iya takawa a duniya da kuma Gabas ta Tsakiya.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52064490", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52064819", "doc1": "বরিস জনসন: ডাউনিং স্ট্রিটে 'সেলফ আইসোলেশনে' আছেন বলে জানানো হয়েছে। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, মি. জনসনের দেহে জ্বর এবং কাশিসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের 'মৃদু উপসর্গ ' দেখা দিয়েছে, এবং তিনি ডাউনিং স্ট্রিটেই আইসোলেশনে অর্থাৎ সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকবেন। তবে করোনাইরাস সংকট মোকাবিলায় ব্রিটেনের সরকারের প্রয়াসের নেতৃত্ব তিনিই দেবেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়। তবে বিবিসির সংবাদদাতা নিক ইয়ার্ডলি জানাচ্ছেন, মি. জনসন দায়িত্ব পালনে অক্ষম হবার মতো অসুস্থ হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র‍্যাব দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে মি. জনসনের কাছাকাছি দেখা গেছে সরকারের এমন আরো কতজনকে এখন আইসোলেশনে যেতে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক টুইট বার্তায় মি. জনসন বলেন, \"গত ২৪ ঘন্টায় আমার দেহে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে।\" এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইংল্যান্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইটির ব্যক্তিগত পরামর্শে ৫৫ বছর বয়স্ক মি. জনসন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করান। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের কর্মীরা ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটেই এই টেস্ট করানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই মি. জনসনকে সবশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায়। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কথা জানালেন। তবে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তার সরকারের কতজন সদস্যকে আইসোলেশনে যেতে হতে পারে তা স্পষ্ট করা হয় নি। বুধবার পার্লামেন্টে মি. জনসনের পাশে বসা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক স্বাস্থ্যমন্ত্রীও সংক্রমিত মি. জনসনের ঘোষণার কিছু পরই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক বার্তায় জানান, তিনিও কোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। তিনি জানান, তার দেহেও মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তিনি স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে আছেন, এবং বাড়ি থেকে কাজ করবেন। ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬শরও বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং ৫৭৮ জন মারা গেছেন। ব্রিটেনের যেসব বিজ্ঞানী করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে গবেষণা করছেন তারা সরকারগুলোকে হুঁশিয়ার করে বলছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে হলে তাদের অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে, তাই নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ছে বাংলাদেশে আরো ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশে, দু'জন চিকিৎসক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এই গবেষণায় বলা হয়েছে, রোগীদের পরীক্ষা করা, তাদের আলাদা করে ফেলা এবং সামাজিকভাবে মানুষকে কিছুদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখতে না পারলে ব্যাপক হারে প্রাণহানি ঘটবে। তারা সতর্ক করছেন যে উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে পরিবারের আকার বড় এবং তাতে বয়োবৃদ্ধ সদস্য রয়েছেন, সেখানে এই মহামারির ফল হবে বিরাট এক বিপর্যয়। করোনাভাইরাস সংকট সামাল দিতে ব্রিটিশ সরকার অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের নতুন করে কাজে যোগ দিতে বলছে। তাদের বলা হচ্ছে, তারা পূর্ণকালীন অথবা চাইলে স্বল্প মেয়াদে চাকরিতে ফিরতে পারেন। যারা অবসরে যাওয়ার মুখে রয়েছেন, তাদেরকে চাকরিতে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেই এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক খবরে বরা হযেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অথবা আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহে লন্ডন পুলিশের ২০ শতাংশ সদস্য ঘরে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।", "doc2": "Mr Johnson ya nuna alamun cutar saisa-saisa kuma tuni ya killace kansa a fadar Downing Street. Wata sanarwar da fadar ta fitar ta ce \"Sakamakon gwajinsa ya nuna yana dauke da cutar, kuma ya yi gwajin ne bisa shawarar da babban likitan gwamnatin kasar Farfesa Chris Whitty ya ba shi.'' Sai dai zai ci gaba da jan ragamar gwamnatin na yaki da cutar kamar yadda sanarwar ta kara. Ma'aikatan Hukumar Inshorar Lafiya Ta Ingila NHS ne suka yi masa gwajin a fadar tasa. A wani sakon Twitter da ya wallafa, Boris Johnson ya ce: ''Cikin sa'a 24 da suka gabata ina ta jin alamun cutar sama-sama kuma an yi min gwaji ya tabbata ina dauke da coronavirus. ''A yanzu haka na killace kaina, amma zan ci gaba da jan ragamar gwamnati yadda muke yaki da ita ta sakon bidiyo. ''Za mu yi aiki tare wajen shawo kan wannan annoba.'' Ranar Alhamis da daddare ne lokaci na karshe da aka ga firai ministan a waje, lokacin da yake tafa wa ma'aikatan NHS a kofar fadarsa don jinjina wa kokarinsu. A yanzu haka an samu masu dauke da cutar 11,600 a Burtaniya, kuma tuni mutum 578 suka mutu. Zai ci gaba da jan ragamar gwamnati na yaki da cutar. A farkon makon nan ne mai magana da yawun Mista Johnson ya ce idan firai ministan ya fara rashin lafiya har ma ya kasa aiki, to Sakataren Harkokin Wajen kasar Dominic Raab, ne wanda aka zaba ya tsaya a madadinsa. Babu tabbas kan ko Mr Johnson zai ci gaba da zama da budurwarsa Carrie Symonds, wacce take da tsohon ciki. An shawarci mata masu juna biyu da su zama masu tsantseni wajen bin matakan kariya kamar na bayar da tazara har na tsawon mako 12. Wannan na zuwa ne bayan da Yariman Wales ma gwaji ya nuna ya kamu da cutar a farkon makon nan. Yarima Charles mai shekara 71, ya dan nuna alamun cutar saisa-saisa, ''amma lafiyarsa lau ba ta yi muni ba,'' a cewar wani mai magana da yawunsa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53064712", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53075630", "doc1": "ডাক্তার ওষুধের পরীক্ষা করছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্প মাত্রার স্টেরয়েড চিকিৎসা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই ওষুধ ব্যবহার করলে ভেন্টিলেটারে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমানো যাবে। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার এক পঞ্চমাংশ কমানো যাবে। বিশ্বে এই ওষুধ নিয়ে সর্ববৃহৎ যে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছিল এই ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়ও কাজ করবে কিনা। গবেষকরা অনুমান করছেন ব্রিটেনে যখন করোনা মহামারি শুরু হয়েছে তার প্রথম থেকেই যদি এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব হতো তাহলে পাঁচ হাজার পর্যন্ত জীবন বাঁচানো যেত। কারণ এই ওষুধ সস্তা। তারা বলছেন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ বিশালভাবে কাজে লাগতে পারে। এবং যেসব দেশ রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এটা তাদের জন্য বিশাল সুখবর। জীবন রক্ষাকারী যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। প্রতি বিশজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ১৯ জনই সুস্থ হয়ে ওঠেন যাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনই হয় না। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু কিছু রোগীর প্রয়োজন হয় অক্সিজেন চিকিৎসা অথবা কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেবার জন্য ভেন্টিলেটার লাগাতে হয় কারো কারোর। এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের জন্যই ডেক্সামেথাসোন সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ওষুধ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টায় মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন শরীরের ভেতর যে ক্ষতিগুলো হয়, এই ওষুধ ডেক্সামেথাসোন সেই ক্ষতি কিছুটা প্রশমন করতে পারবে বলে তারা পরীক্ষায় দেখেছেন। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন সেই প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় সাইটোকিন স্টর্ম যেটা প্রাণঘাতী হতে পারে। এই সাইটোকিন স্টর্ম শরীরের ভেতর ইমিউন ব্যবস্থায় এমন একটা ঝড়, যেখানে প্রতিরোধী কোষগুলো বাইরের সংক্রমণ ধ্বংস করার বদলে শরীরের সুস্থ কোষগুলোও ধ্বংস করতে শুরু করে। যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে শুরু করে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল রোগীর ওপর পরীক্ষা চালায়। তাদের ডেক্সামেথাসোন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এদের সঙ্গে তুলনা করা হয় চার হাজারের বেশি রোগীর যাদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। গবেষকরা বলছেন এরকম যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে আছেন বা যারা অক্সিজেন চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বাঁচাতে এই নতুন ওষুধ সাহায্য করবে দেখা গেছে যেসব রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়। আর যাদের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫% থেকে কমে আসে ২০%। অনুসন্ধান দলের প্রধান অধ্যাপক পিটার হরবি বলেছেন: \"এখনও পর্যন্ত এটাই একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে বলে দেখা যাচ্ছে। এবং এই ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।\" প্রধান গবেষক অধ্যাপক মার্টিন ল্যানড্রে বলছেন এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ভেন্টিলেটারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এমন প্রতি আট জন রোগীর মধ্যে একজনের প্রাণ এই ওষুধ দিয়ে বাঁচানো সম্ভব। আর যেসব রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাদের প্রতি ২০ থেকে ২৫ জনের মধ্যে একজনের জীবন এই ওষুধে বাঁচবে। \"এই ওষুধের সুস্পষ্ট, সুস্পষ্ট সুফল আছে। এই চিকিৎসায় রোগীকে ডেক্সামেথাসোন দিতে হবে ১০দিনের জন্য। এর জন্য খরচ হবে রোগী প্রতি প্রায় ৫ পাউন্ড। আর এই ওষুধ পৃথিবীর সব দেশে পাওয়া যায়।\" অধ্যাপক ল্যানড্রে বলছেন, হাসপাতালে রোগীকে প্রয়োজন হলে এখন দেরি না করে এই ওষুধ দেয়া উচিত। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কেউ যেন এই ওষুধ বাজার থেকে কিনে ঘরে মজুত করে না রাখেন। যাদের করোনাভাইরাসের হালকা উপসর্গ দেখা দেবে, অর্থাৎ যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন কাজ করবে না। মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ওষুধ নিয়ে ট্রায়াল চালানো হচ্ছিল। যেসব ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার মধ্যে ছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও।এই ওষুধটির ওপর পরীক্ষা পরে বাতিল করে দেয়া হয়, কারণ এই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় হার্টের সমস্যা এবং অন্য প্রাণনাশক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। আরেকটি ওষুধ রেমডেসিভির, যেটি অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সেটি সেরে ওঠার সময় কিছুটা তরান্বিত করতে পারে বলে দেখা যাবার পর করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Masu bincike a jami'ar Oxford sun gano maganin na inganta damar da masu cutar ke da ita na warkewa cikin hanzari, musamman idan har ta kai ga sai ana mu su karin iska, ko ana taimaka mu su su yi numfashi da na'ura. Masu binciken sun lura cewa maganin mai suna Dexamethasone kan rage kashi daya cikin uku na yawan masu mutuwa daga cutar idan har ana mu su karin iska ne. Binciken da aka gudanar a jami'ar Oxford ta Ingila ya nuna cewa maganin kan sa garkuwar jiki mayar da martanin da ya dace idan cutar korona ta bayyana a jikin dan Adam. Daya daga cikin masu binciken, Professor Martin Landray na Sashen Ilimin Kiwon Lafiyar Al'umma a Jami'ar ta Oxford ya ce sakamakon da suka samu daga gwajin maganin ya ba su mamaki: \"Lokacin da muka fara lura da sakamakon, mun yi mamaki domin ya zarce dukkan abin da muka sa ran gani.\" \"Ganin irin wannan sakamako mai karfafa gwuiwa a jikin wadanda cutar ta durkusar ya katimaka ma na wajen ci gaba da neman maganin cutar - duk da cewa muna ta neman abin da tuni muka sani,\" inji shi. Ya kuma ce Dexamethasone magani ne mai saukin samu, wanda kuma ba shi da tsada, saboda haka sakamako ne mai dadin ji. Sai dai tilas ne a ci gaba da neman wani maganin domin Dexamethasone ba zai warkar da dukkan masu fama da cutar ba. Na farko ba zai dace da kowane irin nau'i na wadanda ke dauke da cutar ba. Amma abu ne mai karfafa gwuiwa idan aka tuna cewa a makon jiya-jiyan nan bamu da magani ko daya da za mu iya dogara da shi wajen yaki da wannan annoba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43021591", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-42872703", "doc1": "সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ২০১৬ সালে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও প্রায় ১২,০০০ শিশু। ফাইল ফটো আর শিরোনামে না আসা শিশু ধর্ষণের সংখ্যাটা আরও বহুগুণ বেশি। ২০১৬ সালে - একবছরেই ভারতে ধর্ষিত হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু বা কিশোরী। ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যানে তেমনটাই উঠে এসেছে। তবে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার শিকার যে সেখানে শুধু কন্যা শিশুরাই হচ্ছে তা নয়। প্রায় ১০ বছর আগে প্রকাশিত একমাত্র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন হেনস্থা হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি ছেলেশিশু বা কিশোর। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন, ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি মোট ঘটনার কিছু অংশমাত্র। শিশুদের অধিকার নিয়ে সারা দেশ জুড়েই কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ক্রাই'। তারই পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর অতীন্দ্রনাথ দাস ব্যাখ্যা করছিলেন, \"শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে গত প্রায় এক দশক ধরে। কিন্তু গত তিনবছরে সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এরকম ঘটনা আগে হত না। কিন্তু হঠাৎ করে সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।\" সাম্প্রতিক সময়ে এমন বেশ কিছু শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে, যা রীতিমতো শিহরন জাগানো। ২০১৫ সালে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকে আট বছরের একটি কন্যা শিশুকে অপহরণ করার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি-র ফুটেজে। পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, তার মুখে প্লাস্টিক গুঁজে দিয়ে চুপ করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ ছাড়াও প্রায় ১২ হাজার কন্যা-শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন চলেছে, আর যৌন হেনস্থা ঘটেছে নয়শোরও বেশী কন্যা-শিশুর সঙ্গে। কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'দীক্ষা'র প্রধান পারমিতা ব্যানার্জী বলছিলেন, \"যৌন নির্যাতনটা আগেও চলত, এখনও চলে। কোনও না কোনোভাবে যৌন হেনস্থা হয় নি, এমনভাবে বোধহয় ভারতের কোনও মেয়েই বড় হয় না - সেটা ভিড় বাসে শরীরে হাত দেওয়া থেকে শুরু করে আরও গুরুতর কিছু - যাই হোক না কেন। আগে আমরা মেয়েরা মুখ খুলতাম না - ভয়ে, লজ্জায়, কিন্তু এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে একটু একটু করে।\" নারী আন্দোলনের কর্মী অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষও বলছিলেন, \"অ্যাবসলিউট নাম্বারে যৌন নির্যাতন বেড়েছে তো বটেই, কিন্তু এখন বিষয়গুলো সামনে আসছে আগের থেকে অনেক বেশী। শিশু সুরক্ষা সম্বন্ধে অভিভাবক থেকে শুরু করে পুলিশ - সকলেরই সচেতনতা বেড়েছে। এখন কোনও শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হলে প্রথমেই রিঅ্যাক্ট করে এই বলে যে 'একটা বাচ্চার সঙ্গে এরকম করে পার পেয়ে যাবে!' এই ধারণাটা বদল হয়েছে বলেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে অনেকে সাহস পাচ্ছেন এখন।\" আরও পড়তে পারেন: যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার জবাবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আট মাসের একটি শিশুকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। (ফাইল ছবি) যৌন নির্যাতনের শিকার অর্ধেকই ছেলেশিশু সমাজকর্মীরা বলছেন একটা বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোররাও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে ভারতে - যার একমাত্র সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল ২০০৭ সালে। কথা বলেছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাজকের প্রধান দীপ পুরকায়স্থর সঙ্গে। \"ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতনের পরিসংখ্যান খুব একটা পাওয়া যায় না। একমাত্র ওই ২০০৭ সালের সংখ্যাটা ছাড়া। আমরা যারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, তাদের একটা ধারণা ছিলই যে কী সংখ্যায় ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতন চলে। আর সরকারী তথ্যে দেখা যাচ্ছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হয়, তার প্রায় অর্ধেক পুত্র-শিশু বা কিশোর। তার পরে আর কোনও তথ্য আমাদের হাতে নেই,\" বলছিলেন মি. পুরকায়স্থ। শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ কী শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে একাধিক। কেউ বলছেন ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়া। কারও মতে বিকৃত যৌন চাহিদা মেটানোর সব থেকে সহজ টার্গেট হয়ে উঠছে শিশুরা, কারণ তারা অরক্ষিত আর তাদের ওপরে কী ঘটছে, সেটা তারা বুঝতে অক্ষম। এইসব নানা কারণেই শিশু ধর্ষন বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কলকাতায় যৌন হেনস্থার ব্যাপারে শিশুদের সচেতন করে তোলার কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দীক্ষা। তার প্রধান পারমিতা ব্যানার্জীর কথায়, \"অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে পিডোফিলিয়া নিশ্চিতভাবেই মানসিক বিকৃতি। কিন্তু বাসে-ট্রামে মেয়েদের শরীর ছোঁয়ার মতো যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো কিন্তু ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য। এর বাইরে একটা কারণ হল ছোটবেলায় যেসব পুরুষ হেনস্থার শিকার হয়েছেন কোনও না কোনও ভাবে, তাদের একটা অংশও কিন্তু পরবর্তীতে নিজেরা হেনস্থা করছেন মেয়েদের।\" ক্রমবর্ধমান হারে শিশুদের যৌন লালসার শিকার বানানোর পিছনে রয়েছে কুসংস্কারও। অন্তত দেড়শো বছর আগের ছাপা বটতলার বই নামে পরিচিত তথাকথিত অশ্লীল সাহিত্যেও এই কুসংস্কারের উল্লেখ আছে যেখানে বলা হয়, কন্যা-শিশু অথবা কুমারী নারীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে নানা যৌন রোগ নিরাময় হয়। নিউ লাইট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান উর্মী বসু বলেন,\"আমরা যৌন কর্মী এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের সঙ্গে যারা আছেন, তাঁদের অনেকেরই বয়স ৬০/ ৬৫ এমনকি ৭০। তাঁদের কাছ থেকেই জেনেছি, বহু মানুষ এটা মনে করেন যে কুমারী নারী বা শিশুদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে তাদের নিজেদের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা যৌনরোগ নিরাময় হয়। ভারতের বহু প্রদেশে এই ধারণা প্রচলিত রয়েছে। \" সমাজকর্মী পারমিতা ব্যানার্জীও এইডস আক্রান্তদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। শিশুদের ওপরে ক্ষমতা প্রদর্শন সহজ, তেমনই যৌন লালসা মেটানোর পরে ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা আরও সহজ। সমাজকর্মীরা বলছেন ভারতে বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোরও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে স্কুল ও পরিবার থেকে শিক্ষা অনেক স্কুলেই আজকাল ছোট-বয়স থেকেই মেয়েশিশুদের শেখানো হচ্ছে কোন স্পর্শ বা আদর করাটা ভাল, কোনটা খারাপ। কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড। আর কেউ খারাপভাবে ছুঁলে যে সেটা মাকে বলতেই হবে, সেটাও বোঝানো হচ্ছে শিশুদের। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলছিলেন, \"ভালো স্পর্শ আর খারাপ স্পর্শ নিয়ে পাঠ দেওয়াটা এখনও মূলত অভিজাত স্কুলগুলিতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সরকারী স্কুলেও যাতে এগুলো শেখানো হয়, তার জন্য আমরা স্কুল সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিষয়টা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে কথা দিয়েছেন।\" \"শুধু মেয়েদের শেখালে তো চলবে না, ছোট ছেলে বা সদ্য-কিশোরদেরও এই পাঠটা দেওয়া দরকার যে একটা মেয়ে মানেই শুধু শরীর নয় - সে সব অর্থেই ছেলেদের সমান। অথচ উল্টোটাই মনে করে বহু ছোট ছোট ছেলেরাও। বদলাতে হবে এই মানসিকতা,\" বলছিলেন শাশ্বতী ঘোষ। হাজার হাজার মামলা, বিচার সময় মতো শেষ হয় না শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা বেড়ে চলার একটা কারণ হল- নির্যাতনকারীরা অনেক সময়েই অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। যেটা দেখে ওইরকম ঘটনা ঘটাতে উৎসাহিত হয় আরও অনেকে। পরিসংখ্যানও বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশী শিশু ধর্ষণের মামলা ভারতের নানা আদালতে চলছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার হারও মাত্র ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন বা হেনস্থার ঘটনা ধরা হয় নি। আরও যা পড়তে পারেন: সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ পরিসংখ্যান বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। কেন শিশু ধর্ষণের হাজার হাজার মামলা জমে আছে? কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ভারতী মুৎসুদ্দি বিবিসি বাংলাকে বলেন, \"এইধরনের মামলা তো শুধু নয়, ভারতের আদালতে লক্ষ লক্ষ মামলা ঝুলে আছে। একটা সাধারণ ব্যাখ্যা হল বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল।\"। মিসেস মুৎসুদ্দি আরও বলছিলেন, \" শিশুদের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে যে 'পকসো' আইন হয়েছে, সেখানে কিন্তু যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেমন এই মামলার বিচার পৃথক আদালতে এক বছরের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু কোনও জায়গাতেই আলাদা কোর্ট হয় নি, একবছরে মামলা শেষ করাও হয় না। পৃথক পুলিশ টীম তৈরি করার কথা বলা হয়েছে আইনে, সেটাও মানা হয় না। তাই অন্য মামলার সঙ্গেই শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের মামলা একই আদালতে চলতে থাকে আর বছরের পর বছর ঝুলে থাকে।\" আবার এই বিতর্কও রয়েছে যে শিশুদের ধর্ষক বা নির্যাতনকারীদের কতটা শাস্তি দেওয়া হবে, তা নিয়ে। কেউ মনে করেন তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া উচিত। কিন্তু এই প্রশ্নও রয়েছে যে দিল্লির বাসে গণ-ধর্ষিতা ও খুন হওয়া নির্ভয়ার ধর্ষকদেরও তো চরম শাস্তি দিয়েছে আদালত - তারপরেও কি ধর্ষণ কমেছে? নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলছিলেন, \"আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী নই। যদি ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি হওয়াই উচিত। তবে তখন ধর্ষক ভাববে, মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে তাকে তো ফাঁসিতে ঝুলতেই হবে।\" মিজ. ঘোষ যে আশঙ্কার কথা বলছিলেন, ভারতে অনেক কন্যা-শিশুর সঙ্গে বাস্তবিকই সেটাই ঘটছে - ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করা হচ্ছে - যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে।", "doc2": "There is growing anger in India against rape and sexual violence Rahotanni sun ce a yanzu haka yarinyar tana cikin mawuyacin halin a asibitin da aka kai ta bayan da ta samu munanan raunuka a ranar Lahadi. 'Yan sanda sun shaida wa manema labarai cewa sun kama matashin da ake zargi da aikata laifin mai shekara 28. Kwamishinar kula da al'amuran mata ta Delhi wati Maliwal, wacce ta ziyarci jaririyar a asibiti ranar Litinin da daddare, ta bayyana irin raunukan da ta gani a jikin yarinyar da cewa abun tsoro ne matuka. Al'amarin ya faru ne a ranar Lahadi, amma sai a ranar Litinin ne kafofin yada labarai suka samu labarin. Ms Maliwal ta aika da sakon Twitter cewa, sai da aka yi wa yarinyar tiyata ta tsawon sa'a uku. Yadda fyade da kisan 'yar shekara 6 ya harzuka India Mata ta gantsara wa mai fyade cizo a mazakuta India: Kotu ta yarda a zubar da cikin 'yar shekara 13 da aka yi wa fyade Ta kara da cewa: \"Kukan da jaririyar ke yi mai tsinka zuciya ya karade daukacin wajen kula da marasa lafiya na musamman na asibitin. \"Ta smau munanan raunuka ta ciki da wajen jikinta.\" Sharhi daga Geeta Pandey, BBC News, Delhi Irin wannan lamari mai muni na cin zarafin yara ya girgiza Indiya, kuma irin raunukan da jaririyar ta ji sun bai wa mutane da dama tsoro da har wasu ke tunanin ko an zo wani zamani ne da mutane ke abu tamkar dabbobi. Sai dai wani kiyasi da gwamnati ta fitar ya nuna cewa ba a faye samun irin wannan mugun laifi ba. Sai dai abun damuwar shi ne yadda a baya-bayan nan haka ke dan karuwa. Wata kididdiga daga hukumar tattara bayanan laifuka ta kasa ya nuna cewa a shekarar 2016, an samu laifukan yi wa yara kanana fyade da aka yi rijistarsu har sau 19,765 a Indiya - abun da ya karu da kashi 82 cikin 100 daga 2015, inda a lokacin aka samu laifuka 10,854. Shekaru biyu da suka gabata ma wani mutum ya sace jaririyar makwabciyarsa 'yar wata 11, yayin da take bacci a gaban mahaifiyarta, ya kuma shafe sa'a biyu yana mata fyade. Sannan kuma a watan Nuwambar 2015, an sake sace wata jaririyar aka kuma ci zarafinta ta hanyar yi mata fyade a birnin Hyderabad na kasar Indiya. Ms Maliwal ta sake wallafa wani sakon Twitter tana bayyana bakin cikinta. \"Me za mu yi? Ta ya ya za a iya bacci a Delhi a yau bayan da aka yi wa jaririya 'yar wata takwas fyade. \"Yanzu rashin tausayinmu har ya kai haka, ko kuwa kawai mun karbi hakan ne a matsayin kaddara?\" Ta kuma wallafa wani sakon inda take rokon Firai Minista Narendra Modi da cewa \"ana bukatar a tsaurara dokoki a kuma kara samar da karin 'yan sanda don kare yara mata da ke kasar.\" An ci gaba da samun karuwar fyade a Indiya ne tun bayan da wasu gungun mutane suka yi wa wata daliba mai shekara 23 fyade a motar bas cikin shekarar 2012 a Delhi babban birnin kasar. Wannan al'amari ya jawo an shafe kwanaki ana zanga-zanga, aka kuma tursasawa gwamnati samar da wasu dokoki masu tsaurari dangane da fyade, da suka hada da kashe duk wanda aka kama da laifin. Sai dai hakan bai hana ci gaba da samun karuwar yi wa mata da kananan yara fyade ba a fadin kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51308046", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51308677", "doc1": "নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা এর আগে অনেকবার এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছে বিশ্ব। শুধু গত পাঁচ বছরেই বিশ্বে ইবোলা, জিকা, মার্স (মিডল ইসট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) নামের আরেক ধরণের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এখন '২০১৯ এনকভ' নামের ভাইরাসের সংক্রমণ শঙ্কায় ফেলেছে সারা বিশ্বকে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং ১৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আগের রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলোর সাথে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে সেসব ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের কয়েক বছর লেগে গিয়েছিল। তবে এবার ভাইরাসটি চিহ্নিত করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের গবেষণা শুরু হয়। চীনের কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এই ভাইরাসের জেনেটিক কোড জানিয়ে দেয়। এর ফলে বিজ্ঞানীরা সহজে একটি ধারণা তৈরি করতে পারেন যে এই ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছে, ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এটির প্রকোপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এই ভাইরাস থেকে মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে গবেষণায় অর্থায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের দ্রুত উদ্যোগের ফলে দ্রুততার সাথে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: বিশ্ব কি জরুরি অবস্থা জারির দ্বারপ্রান্তে? করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস চীনের ভাইরাস আক্রান্ত উহানের একাত্মতার গল্প ঘ্রীষ্মের শুরুতে মানবদেহে প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক তৈরিতে অভূতপূর্ব দ্রুততা স্যান ডিয়েগোর ইনোভিয়ো'স ল্যাবরেটরিতে সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরণের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। প্রতিষেধকটিকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে 'আইএনও-৪৮০০', যেটি এই গ্রীষ্মে মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইনোভিও'র গবেষণা বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কেট ব্রোডেরিক বলেন: \"চীন এই ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স জানানোর পর আমরা ল্যাবের কম্পিউটারে প্রবেশ করাই এবং তিন ঘন্টার মধ্যে একটি প্রতিষেধক ডিজাইন করি।\" \"আমাদের প্রতিষেধক ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করে মানবদেহে থাকা ভাইরাসের বিশেষ কিছু অংশে আঘাত করে এবং আমাদের বিশ্বাস দেহ তখন ঐ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে।\" প্রতিষেধকের প্রধান উপাদান তৈরির উদ্দেশ্যে ল্যাবে তৈরি করা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ইনোভিও বলছে প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের দেহে চালানো পরীক্ষাগুলো যদি সফল হয়, তাহলে আরো বড় পরিসরে পরীক্ষা চালানো হবে। আর ঐ পরীক্ষাটি 'এ বছরের শেষভাগে' চীনের ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় পরিচালনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। ভাইরাস সংক্রমণ ঐ সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ইনোভিওর পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তাহলে এরকম রোগ ছড়ানোর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে দ্রুতবেগে সফলভাবে প্রতিষেধক তৈরির নজির স্থাপিত হবে। এই ধরনের একটি ভাইরাস - ২০০২ সালে সার্স - শেষবার যখন চীনে ছড়িয়ে পড়ে, তখন চীনের কর্তৃপক্ষ অনেকদিন পর ঐ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করে। তাই যে সময় প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু হয়, ততদিনে ভাইরাস সংক্রমণ প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ২০১৯-এনকভ এর টাইমলাইন বিভিন্ন দেশের সরকার এবং মানবতাবাদী সংগঠনের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা কোয়ালিশন অব এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সেপি) নামের একটি সংস্থা প্রতিষেধক তৈরিতে নিয়োজিত গবেষণাগারগুলোর অর্থায়ণ করছে। পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর নতুন ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে এই সংস্থা তৈরি করা হয়। এই সংস্থার প্রতিষেধক গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ডক্টর মেলানি স্যাভিল বলেন, \"রোগ ছড়িয়ে পড়া যেন মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরুপ না হয় তা নিশ্চিত করা এবং নতুন ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করাই এই সংস্থার উদ্দেশ্য।\" বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা এই নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে, এমন আরো দু'টি প্রকল্পে কাজ করছে সংস্থাটি। একটি 'মলিকিউলার ক্ল্যাম্প' প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে কাজ করছে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি 'শরীরকে একাধিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিষেধক তৈরি করতে সাহায্য করে।' যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় সংস্থার সাথে ম্যাসাচুসেটসের মডার্না ইনকর্পোরেশন যুক্ত হয়ে প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে গবেষণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন প্রতিষেধকের বৈশ্বিক প্রয়াসের সমন্বয় করছে। তারা জানিয়েছে, সেপি'র অর্থায়নে পরিচালিত তিনটি গবেষণা প্রকল্প ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাগুলোর গবেষণাগুলোর ওপরও নজর রাখছে তারা। নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রচেষ্টা বেশ জোরেসোরে চললেও গবেষণা এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরির জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়াল বেশ সময়সাপেক্ষ এবং সবচেয়ে কার্যকরভাবে চালানো সম্ভব হয় যখন রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে, ঐ সময়ে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? বর্তমানে গবেষণাগারগুলোতে তৈরি করা প্রতিষেধকগুলো যে চীনে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি প্রোগ্রাম বিভাগের আনা মারিয়া হেনাও-রেস্টরেপো বলেন: \"আমার একটা কাঠামো তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাদের তৈরি করা প্রতিষেধক সবার আগে ব্যবহার করা হবে।\" \"বিশেষজ্ঞরা তৈরি করা প্রতিষেধকগুলোর গ্রহণযোগ্য নিরাপত্তা মাত্রা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যথাযথ প্রতিক্রিয়া ও প্রতিষেধকের পর্যাপ্ত যোগানের মত বিষয়গুলো বিবেচনা করবে।\" মানুষের ওপর কোন প্রতিষেধক পরীক্ষা করা হবে তা কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।", "doc2": "Inside the US laboratory developing a coronavirus vaccine Mun dade muna zuwa nan. A shekara biyar da ta wuce kawai, duniya ta fuskanci barkewar cututtuka kamar Ebola da Zika da wani nau'in cutar Coronavirus da ake kira Mers (Middle East Respiratory Syndrome), sai kuma yanzu da wata kwayar cuta da ake kira \"2019-nCoV\". Ta riga ta kama duban mutane ta kuma kashe fiye da mutum 100. Sai dai ba kamar barkewar wasu cututtuka da dama a baya ba, inda ake kwashe shekaru kafin a samar da maganin da zai kare mutane kamuwa da cutar, nan take aka fara binciken samar da maganin dakile barkewar wannan cutar sa'o'i kadan da gano ta. Jami'an China sun fitar da tasu kwayar halitta da wuri. Wannan bayanin ya taimaka wa masana kimiyya gano inda cutar ta fito, yadda cutar ka iya sauyawa yayin da take ci gaba da yaduwa da kuma yadda za a kare mutane daga kamuwa da ita. Da taimakon ci gaban fasaha da kuma mayar da hankali da gwamnatoci a fadin duniya suka yi kan samar da kudin gudanar da binciken cututtukan da ke bullowa, cibiyoyin bincike sun samu damar fara aikinsu da wuri. Hanzari cikin rashin tabbas A dakin binciken 'Inovio's lab' da ke San Diego, masana kimiyya na yawan amfani da sabon nau'in fasahar DNA (kwayar halittan jikin dan adam) su samar da magani. \"INO-4800 \" - kamar yadda ake kiran shi a yanzu - na da nufin shiga gwajin mutane a farkon lokacin zafi. Kate Broderick, babbar mataimakiyar shugaban bincike da ci gaba a Inovio ta ce; \"muddin China ta samar da jerin kwayar halittar wannan cutar, mun samu mun shigar cikin komfutar fasaha da ke dakin gwaje-gwajenmu sannan muka samar da magani cikin sa'a uku. \"Magungunanmu na kwayar halittar dan adam da ke bayar da kariya kamar littafi ne da ke amfani da jerin kwayar halittar dan adam daga kwayar cutar zuwa wasu sassa na cutar, wanda muke da yakinin cewa karfin jikin dan adam zai dauki maganin. \"Sai mu yi amfani da kwayoyin jikin mai jinyar ya zama wata ma'aikata ta magani, yana karfafa jikin ta yadda zai samu waraka\". A dakin binciken 'Inovio's lab' da ke San Diego, masana kimiyya na yawan amfani da sabon nau'in fasahar DNA (kwayar halittan jikin dan adam) su samar da magani Inovio ya ce idan har muka yi nasara a gwajin farko, za mu ci gaba da gwajin da dama, musamman inda aka samu barkewar cutar a China \"zuwa karshen shekara\". Zai yi wuya mu yi hasashen ko barkewar wannan cutar ka iya karewa zuwa lokacin. Amma idan abubuwa suka yi daidai da shirin Inovio, kamfanin ya ce zai kasance sabon magani mafi hanzarin samar da waraka da aka taba samu aka kuma gwada a wani yanayi na barkewar cuta. A baya da aka samu irin wannan barkewar cutar Sars a shekarar 2002 - China ba ta yi hanzarin sanar da duniya abinda take ciki ba. A lokacin da aka fara aiki tukuru don samar da magani, tura ta riga ta kai bango. Yadda cutar Coronavirus ta yadu cikin lokaci Ayyukan da ake gudanarwa a dakin gwaje-gwaje na samun tallafin kudi daga hadakar kungiyar masu kirkire-kirkiren na shirin bullar annoba (Coalition for Epidemic Preparedness Innovations (Cepi),) wanda ya hada da gwamnatoci da kungiyar masu aikin sa kai da ke ba da tallafin kudi daga kasashen da ke fadin duniya. An samar da kungiyar ne bayan bullar barkewar cutar Ebola a yammacin Afirka domin samar da tallafin kudi na samar da magungunan cutar. Dakta Melanie Saville, daraktar binciken magani da kuma ci gaba a Cepi, ta ce: \"burinmu shi ne tabbatar da cewa, barkewar cuta ba zai zama barazana ga dan adam ba sannan a ci gaba da samar da maganin cututtukan da ka iya bullowa.\" 'Hada sinadarai' Kungiyar Cepi tana kuma ba da tallafin kudi ga wasu shirye-shirye da ke ci gaba da samar da magani ga wannan sabuwar cutar Coronvirus. Jami'ar Queensland na aiki da wasu \"hadin sinadaran\" magani wanda ta ce, \"yana taimakawa wajen samar da maganin cututtuka.\" Hukumar Lafiya ta Duniya WHO na shirya wannan aikin ne a fadin duniya don samar da sabon magani Kamfanin Moderna Inc da ke Massachusetts ya hada kai da US National Institute of Allergy and Infectious Diseases, cibiyar yaki da cututtuka ta kasar Amurka domin hanzarta binciken da su ke gudanarwa. Hukumar Lafiya ta Duniya WHO na shirya wannan aikin ne a fadin duniya don samar da sabon magani. Ta ce tana bibiyar ci gaban aikin wasu cibiyoyin gudanar da bincike, har da guda ukun da Cepi ke bai wa tallafi. Duk da cewar ana ta kokarin samar da magani ga wannan sabuwar cutar, bincike kan gano maganin na mataki farko har yanzu a dukkanin cibiyoyin gudanar da binciken da ke rige-rigen samo sabon maganin. Gwaje-gwajen na daukar lokaci kuma ya fi dacewa a yi shi a inda aka samu bullar cutar. Babu dai tabbacin ko daya daga cikin magungunan da aka samar kawo yanzu zai yi tasiri isasshe da za a iya amfani da shi a barkewar cutar na China. Ana Maria Henao-Restrepo daga shirin gaggawa na WHO: \"mun tsara aiki ta yadda za mu samu shawarwari kan wane magani/magunguna da aka gudanar da bincike kansu za a fara gwadawa. \"Masanan za su yi la'akari da abubuwan da suka hada da amintaccen tsatson maganin, tabbatar da jikin dan adam zai yi daidai da maganin da kuma samun isasshen maganin a ko da yaushe cikin lokaci. \"Fahimtar cutar da yawanta da yaduwarta da yawan gwajin da kuma ci gaba da inganta maganin ta yadda ba zai ki yin aiki ba muhimmin abubuwa ne na dakile yaduwar cutar.\" Kungiyar WHO na shirin yanke shawarar wane magani za a fara gwadawa kan dan adam a 'yan kwanaki masu zuwa. Epidemic v pandemic: What's the difference?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48971587", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48939506", "doc1": "সাবেক সরকারি চাকুরে এই নারী বলছেন, একজন সিনিয়র মন্ত্রী তাকে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কাবুলকে ঘিরে থাকা পার্বত্য এলাকার পাদদেশের কাছাকাছি একটি বাড়িতে সাবেক একজন সরকারি চাকুরের সাথে কথা বলেন বিবিসির প্রতিবেদক। নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন সেই নারী, কিন্তু পুরো বিশ্ব তার নির্যাতনের খবর জানুক - সেটাই সে চায়। ওই নারী জানায় তার সাবেক বস, (অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) যিনি সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী, বারবার তাকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং একদিন যখন সে নিজের অফিসে যায়, তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা করে। \"সে সরাসরি আমাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বলে। আমি তাকে বললাম 'আমি যোগ্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আমি কখনো ভাবতে পারিনি আপনি আমাকে এই ধরনের কোনও কথা বলতে পারেন না!' আমি চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াই।\" তবে এরপরও জোর খাটানোর চেষ্টা করা হয় তার সাথে। \"সে আমার হাত ধরে ফেলে এবং আমাকে তার অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে যায় সে জোর করে ভেতরে ঠেলে দেয় আমাকে এবং বলে যে, 'মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগবে, চিন্তা করো না। আমার সাথে আসো'। এরপর আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে বলি যথেষ্ট হয়েছে। আমাকে চিৎকার করতে বাধ্য করবেন না। এটাই ছিল তার সাথে আমার শেষ দেখা। আমি ভীষণ ক্রুব্ধ এবং আপসেট ছিলাম।\" এই ঘটনার পর সে কী কোনও অভিযোগ দায়ের করেছিল? \"না, আমি কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। আমি সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। যদি আপনি কোর্ট বা পুলিশের শরণাপন্ন হন, তাহলে দেখতে পারবেন তারা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। \"আপনি অভিযোগ করে দাঁড়ানোর মত কোনও নিরাপদ জায়গা খুঁজে পাবেননা। আপনি যদি মুখ খোলেন তাহলে মেয়েটিকেই সবাই দোষারোপ করবে\",বলেন ভুক্তভোগী নারীটি। সাবেক এই সরকারি কর্মী জানান, আরও দুজন নারী তাকে বলেছেন যে ওই একই মন্ত্রী তাদেরকে ধর্ষণ করেছেন (যদিও এই অভিযোগের তথ্যের বিষয়ে বিবিসি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি)। \"সে এসব করেছে নির্লজ্জভাবে, কোনধরনের ভয় ছাড়াই কারণ সে সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।\" আরো পড়তে পারেন: আফগানিস্তান কেন এখন আগের চাইতেও বিপজ্জনক? আফগানিস্তান: ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দেশ কাতারে মুখোমুখি আমেরিকা ও তালেবান, পরিণতি কী আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদরা পতিতাবৃত্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে-এমন অভিযোগ নাকচ করেছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর তালিকায় আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে তার অবস্থান ধরে রেখছে। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিস্তারিত উঠে আসে যে কিভাবে যৌন অপরাধ এবং নির্যাতনের শিকার নারীদের তাদের অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া অপরাধের জন্য তাদেরকেই দোষারোপ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত যৌন অসদাচরণের ঘটনার খবর প্রকাশ করা সহজ নয়। সেই কারণে যে ছয়জন নারীর সাথে বিবিসি কথা বলেছে তারা অধিকাংশই ছিল তাদের পরিচয় প্রকাশে ভীষণ ভীত। কিন্তু তাদের সাথে আলাপে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, যৌন হয়রানি আফগান সরকারের ভেতরের একটি সমস্যা যেটি কোনও একজন ব্যক্তি একটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। 'এখন এটা সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে' আরেকটি অফিসের অন্য একজন নারী কর্মী স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করতে রাজি হলেন। সরকারি চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছিল সে এবং সব যোগ্যতা ছিল। কিন্তু তাকে বলা হল সেজন্য তাকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সাথে দেখা করতে হবে। \"প্রেসিডেন্টের সাথে তাকে ছবিতে দেখা যায়। সে আমাকে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যেতে বলে। সে বলে যে, আসো এবং বসো, আমি তোমার সব কাগজপত্র অনুমোদন করে দেবো। \"সে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসলো এবং এরপর বললো, এবার কিছু পান করা যাক এবং বিছানায় যাওয়া যাক।\" ওই নারী জানান, শেষপর্যন্ত তাকে কোন পথ বেছে নিতে হয়েছিল। \"আমার কাছে দুটো পথ খোলা ছিল, এই প্রস্তাব মেনে নেয়া অথবা ছেড়ে দেয়া। এবং আমি যদি তা গ্রহণ করতাম, এটা শুধুমাত্র ওই ব্যক্তির মধ্যেই থেমে থাকতো না, বরং আরও অনেক পুরুষ আমাকে তাদের শয্যাসঙ্গী হওয়ার জন্য বলতো। এটা সত্যিই জঘন্য। আমি আতঙ্কিত হলাম এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।\" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জন আক্রান্ত, যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও ফেসবুকে গরুর মাংসের স্যুপ খাওয়ার ছবি দেয়ায় হামলা 'ধর্ষণের বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়' ইরাকে পুরুষরাই কি যৌন হয়রানির প্রধান লক্ষ্য? নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর তালিকায় আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে অবস্থান ধরে রাখছে। সরকারি সেই কাজের কী হয়েছিলো? নারীটি জানায়, সে সরকারি দপ্তরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে বলা হয়েছিলো: \"ভাবুন আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখেছেন এবং তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।\" কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়েটি। \"এইসব বিষয় আমাকে রাতে ঘুমাতে দেয়না। আপনি ধীরে ধীরে ক্রুদ্ধ এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।\" কিন্তু সে কি অভিযোগ জানিয়েছিল? \"আপনি যদি অভিযোগ নিয়ে একজন বিচারক, পুলিশ, কৌঁসুলি বা এদের যে কারও কাছে যান, তারাও আপনাকে শয্যাসঙ্গী হতে বলবে। এমন যদি তারাও করে তাহলে কার কাছে যাবেন?\" \"এটা এখন যেন সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আশেপাশের সব পুরুষই আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।\" এইসব ঘটনার খবর হয় না-বলা রয়ে গেছে কিংবা কোথাও এ নিয়ে ফিসফাস শোনা গেলেও তা ধামাচাপা পড়ে গেছে যতক্ষণ পর্যন্ত না গত মে মাসে, প্রেসিডেন্টের সাবেক একজন উপদেষ্টা জেনারেল হাবিবুল্লাহ আহমেদযাই এ বিষয়ে মুখ খোলেন। প্রেসিডেন্টের একসময়কার এই উপদেষ্টা রাজনৈতিক বিরোধীতে পরিণত হওয়ার পর আফগান নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাতকার প্রদানের সময় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির প্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সাক্ষাতকারের অনুরোধ জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, এবং ইমেইলে প্রশ্ন পাঠানো হলে তারও কোনও প্রতিউত্তর মেলেনি। তারা জেনারেল আহমাদযাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে দেয়া বিবৃতি দেখে নিতে বলে যেখানে তার এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা হিসেবে দাবি করে। নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা বলেছে বলে দাবি করে তারা। সরকারের একজন মন্ত্রী নার্গিস নেহান টুইটারে লিখেছেন, \"ক্যাবিনেটের একজন নারী সদস্য হিসেবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে এইধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।\" কিন্তু বিশিষ্ট নারী অধিকার-কর্মী, সাবেক সংসদ সদস্য ফাওজিয়া কোফি জানিয়েছেন যে, তিনি বর্তমান সরকারের অনেক পুরুষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বহু অভিযোগ পেয়েছেন। নারী অধিকার কর্মী ফাওজিয়া কোফি, তিনি পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হন ২০০৫ সালে । তিনি বলেন, \"সরকারের প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষামূলক। তারা বিষয়টিকে আফগানিস্তানের নারীদের জন্য একটি সঙ্কটের চেয়েও রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দেখছে।\" তার মতে, \"সেখানে দায়মুক্তির একধরনের সংস্কৃতি রয়েছে। অপরাধীরা এই সরকারের অধীনে নিরাপদ মনে করে নিজেদের এবং সে কারণে তারা এই ধরনের আরও অপরাধ সংঘটিত করার সাহস পায়।\" সরকার যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এটি প্রেসিডেন্টের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি এবং অ্যাটর্নি জেনারেলে কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখপাত্র জামশিদ রাসুলিকে কাবুলে বিবিসির প্রতিবেদক প্রশ্ন করেছিলেন যে, \"লোকজন কেন বিশ্বাস করবে যে পতপাক্ষহীন তদন্ত হবে?\" তিনি বলেন, \" সংবিধান অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার দিয়েছে। আমরা আন্দোলন-কর্মী, মুসলিম চিন্তাবিদ, এবং মানবাধিকার সংগঠনকে এই তদন্ত কার্যক্রমের শরীক হতে আহ্বান করেছি, যাতে লোকজনকে আশ্বস্ত করা যায় যে আমরা পক্ষপাতহীন\"। নারীরা অভিযোগ জানানোর জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে যথেষ্ট বিশ্বাস পর্যন্ত করতে পারছে না। সে বিষয়টি তুলে ধরা হলে এই মুখপাত্র বলেন, \"আমরা ঘোষণা দিয়েছি যে, সমস্ত অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।\" তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের সাথে সহযোগিতা করবে তাদের এবং তাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা বিধান তৈরি করবো। আফগানিস্তানে যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে গণতন্ত্র আসে, যে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল তালিবানদের অধীনে বর্বর আচরণের শিকার হওয়া আফগান নারীদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা। দেশটিতে নেটো-নেতৃত্বাধীন মিশন সরকারের ভেতরে শীর্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা এহেন যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক উইং-এর পক্ষ থেকে মন্তব্য করার জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও উত্তর আসেনি। ব্রিটিশ দূতাবাস মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আফগানিস্তানের নারীদের জন্য এটা একটা নিরাপত্তা-হীন অনিশ্চিত সময়কাল। তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবান বাহিনীর মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সেখানকার নারীরা, অন্তত দেশটির অন্তত কোনও কোনও এলাকার নারীরা, নিপীড়নকারী তালিবান শাসন ২০০১ সালে উৎখাতের পর থেকে এ পর্যন্ত বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদের এই অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়বে যদি সরকারে ভেতরে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলোর শাস্তি না হয়। ভুক্তভোগী নারীদের একজন বলছিলেন দেশে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির আকুতির কথা। \"আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এটা তার দায়িত্ব এইসব নারীদের কথা শোনা এবং তাদেরকে আমলে নেয়া। যদি তিনি দেশকে নিরাপদ করতে চান, তাহলে এই সমস্যাও তাকে সমাধান করতে হবে।\" এই নারীর মত অনেকেই মনে করছেন, সত্য একদিন প্রকাশ হবেই। কিন্তু এই মুহূর্তে তা যেন এক দূরবর্তী স্বপ্ন তাদের কাছে।", "doc2": "Wannan tsohuwar ma'aikaciyar gwamnati ce kuma ta ce wani babban minista ya yi yunkurin tilasta mata yin jima'i A wani gida da ke karkashin duwatsun da suka kewaye birnin Kabul, na hadu da wata tsohuwar ma'aikaciyar gwamnati. Ta bukaci da kar a bayyana sunanta amma kuma tana so duniya ta san labarinta. Ta ce wani tsohon uban gidanta, wanda babban minista ne ya sha tsangwamar ta sannan kuma wata rana da ta shiga ofishinsa ya yi kokarin cin zararfinta. \"Kai-tsaye ya tambaye ni ko zan kwanta da shi domin a yi min alfarma. Na ce masa ni kwararriya ce kuma na cancanci aikin. \"Ban taba zaton za ka fada min haka ba. na mike zan tafi sai ya rike hannuna kuma ya janyo ni zuwa wani daki a bayan ofis dinsa. \"Ya tura ni cikin dakin sannan ya ce min kar ki damu abin ba zai dauki lokaci ba, mu shiga. \"Na bugi kirjinsa na ce masa dakata, kar ka sa na yi maka ihu. Wannan shi ne ganin karshe da na yi masa. Raina ya yi matukar baci.\" Ko ta kai rahoton abin da ya faru? \"A'a, ajiye aikin na yi saboda ban aminta da gwamnati ba. Idan kuma ka je kotu ko wurin 'yan sanda za ka ga yadda suke karbar cin hanci. Babu wani wuri da zaka kai kuka cikin sauki, in kuma ka yi magana sai a ce mata ne masu laifi,\" in ji ta. Tsohuwar ma'aikaciyar ta ce wasu matan guda biyu sun ba ta labarin cewa ministan ya yi masu fyade - zargin da BBC ba ta iya tantance sahihancinsa ba. Ta ce: \"Yana aikata hakan ne ba tare da wani dar ba saboda babban kusa ne shi a gwamnati.\" Kasar Afghanistan tana cikin kasashe masu hadari ga mata. Wani rahoton Majalisar Dinkin Duniya na 2018 ya bayyana yadda ake tilasta wa matan da aka yi wa fyade da su janye korafin da suka shigar. A mafi yawan lokaci ma ana zarginsu ne da laifi kan abin da aka aikata ma su. Korafi kan abin da manyan mutane suke aikatawa ba abu ne mai sauki ba a wannan yankin. Wannan dalilin ne ya sa akasarin matan da muka yi magana da su guda shida ba su yarda mu ambace su ba. Amma daga tattaunawar da muka yi da su mun fahimci cewa barazanar fyade da mata ke fuskanta matsala ce babba wadda ta karade duka ma'aikatun gwamnati sannan ta shafi kowa da kowa. 'Abin ya zama jiki yanzu' Na hadu da wata mata da take son ta bayyana labarinta ita ma a wani ofishi kusa da wani wajen shakatawa. Ta nemi aiki a gwamnati amma ba ta samu ba sai da aka umarce ta da ta hadu da wani mataimaki na musamman ga Shugaban Kasa Ashraf Ghani. \"Mutumin yana yawan fitowa a hoto tare da shugaban kasa. Ya nemi da in zo ofishinsa na musamman. Ya ce min zo ki zauna, zan sa a dauke ki. Ya matso kusa da ni ya ce mu sha giya mu kwanta,\" ta bayyana. Ofishin Shugaba Ashraf Ghani ya musanta cewa \"jami'an gwamnati da 'yan siyasa suna yada karuwanci\" \"Zabi biyu gare ni a lokacin; ko dai na karbi aikin ko kuma na fice. Idan na karba ba a kansa matsalar za ta tsaya ba, wasu mutanen da dama za su nemi su kwanta da ni. \"Abin ya girgiza ni sosai kuma na ji tsoro na yi tafiyata kawai.\" To ya batun aikin, na tambaye ta. Ta ce ta yi kokarin kiran ma'aikatar a kan hakan sai suka fada mata cewa: \"Ai kamar a turo maki da kudi ta asusunki na banki ne amma sai kika ki dauka.\" Kuka ta fara yi muna tsaka da tattaunawa, ta ce: \"Wadannan suke hana ni barci, su saka ka fushi da ciwon damuwa.\" \"Idan ka kai korafi wurin alkali ko 'yan sanda su ma sai su nemi su yi nemi su kwanta da kai. Saboda haka wurin wa mutum zai kai kuka kenan? \"Abin ya zama kamar al'ada yanzu ta yadda kowanne namiji ma so yake ya kwanta da ke.\" Afghanistan tana cikin kasashen da rayuwa take da kunci ga mata A kan yi shuru game da irin wadannan labarai ko kuma a tattana su cikin rada har sai a watan Mayu, lokacin da Janar Habibullah Ahmadzai ya zama dan adawar siyasa. Janar Habibullah dai tsohon mai bai wa shugaban kasa shawara ne. Ya yi magana a kan batun ne yayin wata hira a wani gidan talabijin din kasar. Ya zargi manyan jami'an gwamnati da kuma 'yan siyasa da \"yada alfasha\". Ofishin shugaban ya ki yarda yi yi magana da manema labarai sannan kuma bai bayar da amsar tambayoyin da aka tura masa ta imel ba. Sun ce mu duba wani tsohon bayani da suka fitar cewa dukkanin kalaman Janar Ahmadzai ba gaskiya ba ne. Nargis Nehan minista ce a gwamnatin kasar kuma ta wallafa a shafinta na Twitter cewa: \"A matsayina ta minista a gwamnatin jam'iyyar National Unity Government (NUG), ina tabbatar wa mutane cewa wadannan zarge-zargen ba gaskiya ba ne.\" Sai dai shahararriyar mai kare hakkin mata Fawzia Koofi - kafin daga baya ta zama 'yar majalisa - ta ce ta samu korafe-korafen cin zarafi daga mata wadanda jami'an gwamnati ke yi masu. \"Martanin gwamnati shi na kare kai. Sun dauki abin kamar wata adawa ce ta siyasa ba abin da ya shafi matan Afghanistan,\" in ji ta. \"Ana yawan aikata rashin gaskiya. Mazan da suke aikatawa suna jin cewa babu mai taba su a gwamnati shi yasa suke kara aikata laifukan.\" An zabi Fawzia Koofi a matsayin 'yar majalisa ne a shekarar 2005 Gwamnati ta yi umarni da a binciki zargin cin zarafin. Ofishin babban lauyan gwamnati ne wanda shugaban kasa ya nada yake gudanar da binciken. Na hadu da mai magana da yawun babban lauyan gwamnatin Jamshid Rasooli a ofishinsa na birnin Kabul. Hoton Shugaba Ghani yana rataye a bayan teburinsa. Na tambaye shi cewa me yasa mutane ke zargin cewa binciken da suke gudanarwa ba mai adalci ba ne? Sai ya ce: \"Kundin tsarin mulki ya bai wa babban lauyan gwamnati damar cin gashin kansa. Sannan kuma mun nemi masu kare hakki da 'yan gwagwarmya da su shigo cikin binciken domin mu tabbatar wa da mutane cewa za mu yi adalci.\" Na fada masa cewa matan da muka yi magana da su sun ce ba su aminta da hukumomin gwamnati ba saboda haka ba za su iya kai korafi ba. \"Mun yanke shawarar cewa ba za a bayyana wadanda suka kawo korafi ba,\" in ji shi. \"Wadanda suka bayar da hadin kai za mu kare su da iyalansu daga barazana.\" Dimokuradiyya ta zo wa Afghanistan ne a wani yanayi da ya lakume rayukan dubban mutane. Wani bangare na yakin da aka yi shi ne na tabbatar wa da mata 'yanci wadanda aka rika cin zarafi a karkashin mulkin Taliban. Jagoran shirin kungiyar Nato na Resolute Support a kasar bai yarda ya yi magana kan batun ba, inda ya ce wannan matsalar cikin gida ce. An sha tura wa hukumar MDD ta mata bukatar su yi magana amma babu amsa. Ofishin jakadancin Birtaniya ma a kasar ya ki cewa komai. Wani lokaci mai hadarin gaske ga mata a Afghanistan. Sun daura damarar damawa da su a tataunawar zaman lafiya da ake yi tsakanin Taliban da Amurka. A wasu wurare a fadin kasar mata da dama sun samu sa'ida tun bayan da aka hambarar da gwamnatin Taliban a shekarar 2001. Sai dai wannan ci gaban da aka samu ba zai yi wani tasiri ba idan ba a hukunta masu aikata cin zarafin ba. \"Ina son shugaban kasa ya sani cewa hakkinsa ne ya saurari koke-koken mata. Idan hakan zai taimaka wajen zaunar da kasa lafiya to ya kamata ya dauki mataki,\" in ji daya daga cikin matan da suka yi magana da mu. \"Wata rana gaskiyar lamarin za ta bayyana amma abin ba nan kusa ba ne.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51889261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-52092467", "doc1": "অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে। ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়? 'ইনকিউবেশন' বা প্রাথমিক লালনকাল এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে ভাইরাস। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো) করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে। শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না। ইনকিউবেশনের সময়ের - প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় - স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন। নিরীহ অসুখ অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না। এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে। তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস ভয়াবহ ব্যাধি এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়। যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, \"রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায় শুরু হয়। কীভাবে এটি ঘটছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না।\" ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হওয়াকে নিউমোনিয়া বলে। আপনার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসের ছোট টিউবগুলোয় যদি যাওয়া যেত, তাহলে আপনি হয়তো শেষপর্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের বায়ুথলিতে গিয়ে পৌঁছাতেন। এই থলিগুলোতেই রক্তে অক্সিজেন যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কিন্তু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র থলিগুলো পানি দিয়ে ভর্তি হতে শুরু করে এবং ফলস্বরুপ শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি করা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যার মত উপসর্গ তৈরি করে। কিছু মানুষের শ্বাস নিতে ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন হয়। চীন থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, এই ধাপে ১৪% মানুষ আক্রান্ত হয়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ফুসফুসের স্ক্যান, নিউমোনিয়া আক্রান্ত অংশ চিহ্নিত করা রয়েছে অতি জটিল রোগ এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬% করোনাআক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অসক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূল সমস্যাটা হয়, এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে। রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি, এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ডাক্তার ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, \"ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে, একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেইল করে।\" এ পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভাইরাসের সাথে পেরে না ওঠে তাহলে তা শরীরের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে। এ পর্যায়ে আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে ইসিএমও বা এক্সট্রা-কোর্পোরেয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি কৃত্রিম ফুসফুস দ্বারা টিউবের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে নিয়ে সেই রক্ত অক্সিজেনপূর্ণ করে আবার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। ইসিএমও মেশিন দিয়ে এক রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে প্রথম মৃত্যু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দু'জন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, যদিও তারা দু'জনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন। প্রথম যিনি মারা গিয়েছিলেন, ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, এবং ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান। ৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। তাকেও একটি ইসিএমও মেশিনের সহায়তা দেয়া হয়, কিন্তু তবুও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তীব্র নিউমোনিয়া ও সেপটিক শকে মারা যান তিনি।", "doc2": "Duk da matukar kokarin da masana kimiyya ke yi a fadin duniya, akwai abubuwa da dama da har yanzu ba mu fahimta ba, kuma a yanzu, dukkanmu mun zama wani bangare na gwaji a fadin duniya wajen gano amsoshi. Ga wasu daga cikin manyan amsoshi dangane da wannan cuta. 1. Mutum nawa ne suka kamu Wannan ita ce tambayar da aka fi yi, kuma daya daga cikin tambayoyi masu muhimmanci. An tabbatar da kamuwar dubban mutane da cutar a fadin duniya, amma wannan dan bangare ne kawai na gaba daya mutanen da suka kamu a duniya. Kuma akwai dumbin mutane da ba su nuna alamomin cutar amma suna dauke da ita- wannan na kara rikita alkaluma. Samar da gwajin 'antibody' wato sinadaren da ke cikin jini, zai bai wa masu bincike sani idan mutum na dauke da kwayar cutar. Ta yin haka ne kawai za a fahimci yadda cutar ke yaduwa. 2. Munin ta Idan ba a san yawan mutanen da ke dauke da cutar ba, babu yadda za a yi a gano yawan mutanen da take kashewa. A halin yanzu, kiyasin shi ne kusan kaso daya cikin 100 na mutanen da ke dauke da cutar ke mutuwa. Amma idan akwai, mutanen da ke dauke da cutar kuma ba sa nuna alamominta, wato bata bayyana a jikinsu karara ba, yawan mace-macen na iya raguwa. 3. Cikakkaun alamominta Manyan alamomin coronavirus su ne zazzabi da tarin da bai zuwa da majina- wadannan ne ya kamata a lura sosai a kansu. Wasu mutanen sun ce sun fuskanci ciwon wuya da ciwon kai da gudawa, kuma ana tunnain wasu kan kasa shaker kamshi. Amma tambaya mafi muhimmanci ita ce ko wasu na fuskantar alamomin mura kamar zubar majina ko atishawa. Bincike ya nuna cewa akwai yiwuwar haka kuma mutane na iya yada cutar ba tare da sun san cewa suna dauke da ita ba. 4. Rawar da yara ke takawa wurin yada ta Tabbas yara na iya kamuwa da coronavirus. Amma ba ta cika wahalar da su ba kuma ba ta cika kashe su ba idan aka hada da sauran mutane. Yara na kan gaba wajen yada cutar, babu mamaki saboda suna cudanya da mutane masu yawa (musamman a wurin wasa), amma idan ana batun wannan cutar, babu tabbas kan girman yadda suke taimakawa wajen yada ta. 5. Inda ta fito Cutar ta fito ne daga Wuhan a China a karshen shekarar 2019, inda aka gano wasu masu dauke da ita a wata kasuwar sayar da nama. Coronavirus, wadda a hukumance ake kiranta Sars-CoV-2, na da alaka ta kusa-kusa da wasu cutuka da ke shafar jemagu, sai dai ana tunanin ita wannan cutar jemagun ne suka shafa wa wata dabba da ba a gano ko wace iri ba ce, ita kuma ta shafa wa mutane. Har yanzu dai ba a gano takamaimai asalin dabbar ba, don haka tana iya ci gaba da yada wa mutane cutar. 6. Masu dauke da cutar za su ragu a lokacin bazara An fi yin mura a lokacin sanyi maimakon a lokacin zafi, amma har yanzu ba a sani ba idan lokacin zafi zai shafi yaduwar cutar. Masu bai wa gwamnatin Burtaniya shawara kan kimiyya sun yi gargadin cewa kawo yanzu, ba su sani ba idan yanayi zai shafi cutar. Idan aka samu ragi a yaduwar coronavirus lokacin zafi, akwai hadarin za a samu karin yaduwarta a lokacin sanyi, lokacin da asibitoci ke fama da yawan marasa lafiya da ke mura. 7. Abin da ya sa cutar ta fi wahalar da wasu Ga mutane da yawa, covid-19 ciwo ne mai sauki. Amma cutar kan zama mai muni ga kusan kashi 20 cikin 100 na mutane. Ko me ya sa? Matsayin garkuwar jikin mutum na iya zama dalili, haka kuma akwai wasu abubuwa a jiki da mutum ke gada daga iyayensa da ke taka rawa. Fahimtar wannan na iya samar da hanyoyin kare mutane daga shiga mawuyacin hali. 8. Tsawon lokacin da garkuwar jiki ke iya kare mutum daga kamuwa, kuma idan ana iya yin cutar sau biyu Ana ta ce-ce-ku-ce kan yadda karfin garkuwar jiki ke iya kashe cutar amma babu wata shaida da ta nuna hakan. Idan har masu dauke da cutar suka warke, to hakan na nufin garkuwar jikinsu ta gina matakan yaki da cutar. Amma da yake cutar ba ta dade ba, babu wasu bayanai masu yawa. Ana jita-jitar cewa akwai mutanen da cutar ke kamawa sau biyu, kuma babu mamaki an samu wannan ne saboda an yi gwajin ba daidai ba. Batun garkuwar jiki na da muhimmanci a fahimtar abin da zai faru nan gaba. 9. Idan cutar za ta sauya fasali Kwayoyin cuta na 'virus' na sauya fasali ko yaushe, amma sauye-sauyen da ke faruwa ga asalin kwayoyin halittarsu ba shi da yawa. Ana sa rai kwayoyin cuta su sauya su rage karfi nan gaba, amma babu tabbacin haka. Fargabar ita ce idan coronavirus ta sauya, garkuwar jiki ba za ta gane ta ba kuma riga-kafinta ba zai kare mutane daga kamuwa da ita ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50199614", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50208114", "doc1": "মসুলের আল নূরি মসজিদে আইএস তৈরির ঘোষণা দিচ্ছেন আবু বকর আল বাগদাদি শনিবার রাতে মি. ট্রাম্পও এক টুইটে পরোক্ষভাবে এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজ (রোববার) ওয়াশিংটন সময় সকালে হোয়াইট হাউজে তা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এবং অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দেন। মি. ট্রাম্প বলেন, মি আল বাগদাদি যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন রাতের বেলায় মার্কিন স্পেশাল ফোর্স সেখানে ঐ অভিযান চালায়। আটটি হেলিকপ্টার অভিযানে অংশ নেয়। 'প্রচণ্ড গোলাগুলির' পর আমেরিকান কমান্ডোরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে দরজা দিয়ে না ঢুকে দেয়াল ভেঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় ঢোকে। মি. আল বাগদাদি সেসময় তার তিন বাচ্চাকে নিয়ে একটি বদ্ধ সুড়ঙ্গে লুকানোর চেষ্টা করেন। মার্কিন সেনাদের সাথে থাকা কুকুর তাকে তাড়া করলে উপায় না দেখে আইএস নেতা শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেন। বিস্ফোরণে সুড়ঙ্গটি তার শরীরের ওপর ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে মি. আল বাগদাদির শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সাথে থাকা তিনটি শিশুও নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আই এস নেতার বেশ কজন সহযোগীও নিহত হয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ছিন্নভিন্ন শরীরের ডিএনএ পরীক্ষা করে আল বাগদাদির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তিনি বলেন, দু ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানের শুরুতে ১১টি শিশুকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তারা অক্ষত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মি ট্রাম্প বলেন, \"বাগদাদি কুকুরের মত মারা গেছে...কাপুরুষের মত মারা গেছে। বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী নেতার বিচার সম্পন্ন করেছে।'' ইদলিবের যে জায়গায় মার্কিন অভিযান হয়েছে বলে বলা হচ্ছে বিবিসিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশে বারিশা নামের একটি গ্রামের একজন গ্রামবাসী শনিবার গভীর রাতে চালানো ঐ নাটকীয় সেনা অভিযানের কথা বিবিসিকে বলেছেন। তিনি বলেন, ৩০ মিনিট ধরে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়। দুটি বাড়িকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। অভিযানে একটা বাড়ি গুঁড়িয়ে যাওয়ার কথা তিনি জানান এবং বলেন এরপর সেনাবাহিনী সেখানে ঢোকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, মার্কিন বাহিনী ঐ অভিযানে ব্যাপক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১১ সালে আইএস নেতাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে আমেরিকা। পরে পুরস্কারের অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়। ঐ পুরস্কারের লোভেই কেউ বা কারা তার সন্ধান দিয়েছে কিনা- তা জানা যায়নি। তবে মি ট্রাম্প তার বক্তব্যে এই অভিযানে নানাভাবে সহায়তা করার জন্য সিরিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া এবং কুর্দিদের প্রশংসা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন অভিযানস্থল থেকে তারা স্পর্শকাতর নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন যার মধ্যে ইসলামিক স্টেটের ভবিষ্যত পরিকল্পনাও ছিল। আল বাগদাদিকে হত্যার ঘোষণা দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের কমান্ডার মাজলুম আবদি বলেছেন, শনিবার রাতের এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এতে অংশ নেন। আবু বকর আল বাগদাদি নিহত হওয়ার খবর এর আগেও অনেকবারই পাওয়া যায়, কিন্তু পরে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিবিসির একজন সিরিয়া বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেছেন অন্তত ৩৫বার তার নিহত হবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, সেসব খবর সঠিক ছিল না। কে ছিলেন আবু বকর আল-বাগদাদি? আবু বকর আল বাগদাদীর আসল পরিচয় কী তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আল বাগদাদী তার আসল নাম নয় বলে মনে করা হয়। নাম আবু বকর আল-বাগদাদি - তবে তার আসল নাম ইব্রাহিম আওয়াদ আল-বদরি। ধারণা করা হয়, ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারার কাছে একটি সুন্নি পরিবারে তার জন্ম। অল্প বয়সে গভীরভাবে ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিনি ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোরানিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে ইঙ্গ-মার্কিন আক্রমণের শিকার হয়ে ক্যাম্প বুকাতে বন্দী হন তিনি। সেখানে তিনি প্রাক্তন ইরাকী গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ অন্য বন্দীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চলে, তখন আল বাগদাদি বাগদাদের কোন একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে দাবি করা হয় কোন কোন রিপোর্টে। অনেকের বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আল বাগদাদি জঙ্গি জিহাদীতে পরিণত হয়েছিলেন। তবে অন্য অনেকের ধারণা, যখন তাকে দক্ষিণ ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ক্যাম্পে চার বছর আটকে রাখা হয়েছিল তখনই আসলে আল বাগদাদি জঙ্গিবাদে দীক্ষা নেন। এই ক্যাম্পে অনেক আল কায়েদা কমান্ডারকে বন্দী রাখা হয়েছিল। আল বাগদাদি পরে ইরাকে আল কায়েদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে অবশ্য ইরাকের আল কায়েদা নিজেদেরকে ২০১০ সালে 'ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড লেভান্ট' বলে ঘোষণা করে।", "doc2": "An yi wa Abu Bakr al-Baghdadi ganin karshe a bidiyo a watan Afrilun 2019. Kafin kama al-Baghdadi wanda ake yi wa lakabi da \"Caliph Ibrahim,\" an saka kusan dala miliyan 25 a matsayin lada ga duk wanda ya kawo shi. An shafe kusan shekaru biyar Amurka da kawayenta na kokarin kama shi tun bayan da kungiyar IS ta yi karfi a 2014. An yi kiyasin cewa kungiyar IS na da iko da kusan muraba'in kilomita dubu 88 daga yammacin Syria zuwa gabashin Iraki, kuma tana mulkin kama karya ga kusan mutum miliyan takwas kuma ta samu biliyoyin daloli a matsayin kudaden shiga daga danyen man fetur, sata da kuma garkuwa da mutane. Amma duk da mutuwar shugaban kungiyar a halin yanzu, kungiyar ta IS na da karfin gaske matuka kuma murkushe ta zai yi matukar wahala. 'Wanda ya yarda da Allah' Baghdadi - wanda sunansa na ainahi shi ne Ibrahim Awwad Ibrahim al-Badri - an haife shi a 1971 a garin Samarra da ke tsakiyar Iraki. A lokacin yana matashi, ana masa lakabi da ''wanda ya yarda da Allah'' sakamakon tsawon lokacin da yake dauka yana zaune a masallaci yana karatun Al-Qur'ani kuma yana yawan caccakar wadanda ba su koyi da shari'ar musulunci. An haifi Ibrahim Awwad Ibrahim al-Badri a Samarra da ke Iraki a 1971 'Jami'ar masu ikirarin jihadi' Bayan harin da Amurka ta kai da ya kai ga tarwatsa gwamnatin Saddam Hussein a 2003, an shaida cewa Baghadadi ya taimaka wajen samar da wata kungiyar jihadi mai suna ''Jamaat Jaysh Ahl al-Sunnah wa-l-Jamaah'' wadda ta rinka kai hari ga sojojin Amurka da kawayensu. A cikin kungiyar, shi ne shugaban kwamitin shari'a. A farkon 2004, sojojin Amurka sun taba kama Baghdadi a garin Falluja da ke yammacin Bagadaza inda suka kai shi wani sansanin tsare masu laifi da ake kira ''Bucca'' a Iraki. Amurka ta taba tsare Baghadadi a sansanin Bucca na kusan watanni 10. An bayyana sansanin Bucca a matsayin wata ''jami'a'' ta manyan gobe amma ta kungiyar IS, wanda wuri ne da wadanda aka tsare suka gauraya da sauran mutane inda suka san junansu kuma suka kulla kawance. An bayyana cewa a lokacin da yana tsare a sansanin, ya yi limanci ya gudanar da hudubobi kuma ya koya darussa na addini kuma wani lokaci idan an samu rikici tsakanin wadanda suke tsare, jami'an da ke gudanar da sansanin kan sa al-Baghadadi domin ya shiga tsakani domin gudanar da sulhu. A lokacin, Amurka ta dauki al-Baghadadi a matsayin mutum wanda bai da barazana ga harkokin tsaro wanda wannan dalili ne ya sa aka sake shi bayan watanni 10. Daya daga cikin jami'an ma'aikatar tsaro ta Amurka ta Pentagon ya shaida wa jaridar New York Times a 2014 cewa ''Dan daban kan titi ne a lokacin da muka kama shi a 2004,'' Kara gina al-Qaeda a Iraki Bayan ya bar sansanin Bucca, ana zargin cewa al-Baghdadi ya samu haduwa da sabuwar kungiyar al-Qaeda da aka kafa a wancan lokaci. A lokacin, Abu Musab al-Zarqawi dan kasar Jordan shi ne ke jagorantar kungiyar. Kungiyar al-Qaeda ta Iraki ta zama wata babbar kungiya a wancan lokaci kuma ta yi suna sakamakon irin kisar da take yi irin ta rashin imani. A farkon 2006, kungiyar al-Qaeda ta Iraki ta kafa wata gidauniya mai suna ''Mujahideen Shura Council'' wadda gidauniya ce da kungiyar da al-Baghdadi yake a wancan lokaci suka yi mata mubaya'a. A cikin wannan shekara dai ta 2006 bayan mutuwar Zarqawi sakamakon wani hari ta sama da Amurka suka kai, kungiyar ta sauya sunanta zuwa ''Islamic State of Iraq'' (ISI.) Baghadadi a wancan lokacin shi ne ya ci gaba da sa ido a kwamitin shari'a na kungiyar kuma ya shiga majalisar Shura. A lokacin da aka kashe Shugaban ISI wato Abu Umar al-Baghdadi tare da mataimakinsa Abu Ayyub al-Masri a wani hari da Amurka ta kai a 2010, an bayyana Abu Bakr al-Baghdadi a matsayin wanda ya gaje shi. Ya gaji wata kungiya da sojojin Amurka a wancan lokaci ke ganin cewa tana daf da rugujewa. Sai dai tare da taimakon wasu daga cikin sojoji na lokacin mulkin Saddam da kuma jami'ansa na tattara bayanan sirri da kuma wadanda ya yi kawance da su a sansanin Bucca, ya sake gina kungiyar ta ISI a hankali. 'Caliph Ibrahim' A farkon 2013, kungiyar na kai gwamman hare-hare a duk wata a Iraki. Kungiyar ta yi hadin gwiwa da 'yan tawayen Shugaba Bashar al-Assad a Syria. A watan Afrilu, Baghdadi ya bayyana hadin gwiwar mayakansa na Iraki da na Syria da kuma kaddamar da ''Islamic State in Iraq and the Levant.'' Sai dai shugabannin kungiyoyin al-Qaeda da kuma al-Nusra sun yi watsi da wannan yunkurin na al-Baghdadi, sai dai mayakan da ke yi masa mubaya'a kawunansu sun rabu inda wasu suka bar bangaren al-Nusra domin taimaka wa Isis ci gaba da zama a Syria. A karshen 2013, Isis ta mayar da hankali zuwa Iraki inda ta yi amfani da rikicin da ke tsakanin gwamnatin Shi'a da kuma 'yan Ahlis Sunnah domin samun nasara. Da taimakon 'yan kabilarsu da kuma mutanen da ke yi wa Saddam mubaya'a, kungiyar Isis ta kwace iko da Falluja. A watan Yunin 2014, daruruwan mayakan Isis ne suka rinka kai kawo a arewacin garin Mosul, inda suka rinka samun nasara kan sojojin Iraki, suka kuma matsa can gaba zuwa Bagadaza, inda mayakan Isis din suka rinka kashe abokan gabarsu, suka kuma rinka barazanar cewa sai sun kashe kabilu da kuma addinai marasa rinjaye a kasar. Karya Kungiyar IS Cikin kusan shekaru biyar da kungiyar ta shafe tana kai hare-hare, a hankali an yi kokarin fatattakar kungiyar daga wuraren da take da iko da su. Wannan yakin ya jawo asarar dubban mutane a kasashen biyu, ya kuma raba miliyoyin mutane da muhallansu, wuraren da ya shafa kuma wasu sun zama kufai. A Iraki, sojojin kasar da kuma mayakan Kurdawa sun samu goyon bayan Amurka da kawayenta da kuma jami'an tsaro masu kayan sarki na Iran. A Syria, sojojin hadin gwiwa na Amurka sun goyi bayan hadin gwiwar mayakan Kurdawa da kuma mayakan Larabawa da kuma wasu 'yan awaren 'yan tawayen Syria. Jami'an da ke yi wa Shugaba Assad biyayya sun yaki IS tare da taimakon sojojin saman Rasha da kuma wasu dakarun Iran. A yakin da aka shafe kusan shekaru biyar ana gwabzawa, tambayar da ake yi ta ko al-Baghdadi na da rai ko ya mutu ta saka mutane cikin dimuwa sakamakon rashin ansa. A watan Yulin 2017, a daidai lokacin da dakarun Iraki ke yakar sauran 'yan kungiyar IS da suka rage a Mosul, jami'ai a Rasha sun bayyana cewa akwai yiwuwar cewa Baghdadi ya mutu a wani harin sama da sojojin sama na Rasha suka kai a wajen birnin Raqqa da ke arewacin Syria. Amma a Satumbar 2017, kungiyar IS ta saki wani sako na murya da ake zargin muryar al-Baghdadi ce da ya yi kira ga mabiyan kungiyar da su kara matsa kaimi wajen yakar makiyansu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44111398", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52471401", "doc1": "মুসলিমরা সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থাকেন রোজার সময়। এতে দেহের ওপর কী প্রভাব পড়ে? গত কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা পড়েছে গ্রীষ্মকালে। ফলে এসব দেশের মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে। যেমন ধরা যাক নরওয়ের কথা। সেখানে এবছর মুসলিমদের প্রায় ২০ ঘন্টা সময় ধরে রোজা রাখতে হবে। আরো পড়তে পারেন: ভিন্ন বর্ণে বিয়ে: মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলো বাবা 'প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব' ছবিতে বিশ্বের নানা দেশের রোজার প্রথম দিন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারের প্রস্তুতি কিন্তু মুসলিমরা যে একমাস ধরে রোজা রাখেন, সেটা তাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলে? প্রথম কয়েকদিন: সবচেয়ে কষ্টকর শেষ বার খাবার খাওয়ার পর আট ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপোস বা রোজার প্রভাব পড়ে না। আমরা যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘন্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ, সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে, তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তবে যেহেতু রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা কমে যায়, সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবং ঝিমুনির ভাব আসতে পারে। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কারণ এটি শরীরে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এ সময়টাতেই আসলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে। ৩ হতে ৭ রোজা: পানিশূন্যতা থেকে সাবধান প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় যেহেতু আপনি কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না, তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নইলে আপনি মারাত্মক পানি-শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে গরমের দিনে যদি শরীরে ঘাম হয়। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি। একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন বা আমিষ, লবণ এবং পানি থাকবে। বেশি করে পানি খেতে হবে পানি-শূন্যতা রোধে ৮ হতে ১৫ রোজা: অভ্যস্ত হয়ে উঠছে শরীর এই পর্যায়ে এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালো লাগছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। ক্যামব্রিজের এডেনব্রুকস হাসপাতালের 'অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের' কনসালট্যান্ট ড: রাজিন মাহরুফ বলেন, এর অন্যান্য সুফলও আছে। \"সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমত করতে পারে না, যেমন ধরুণ শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে।\" \"কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোস থাকছি, তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। কাজেই রোজা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।\" সব ধরণের খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় ১৬ হতে ৩০ রোজা: ভারমুক্ত শরীর রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং দেহত্বক এখন এক ধরণের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন শুদ্ধ হয়ে উঠবে। \"এসময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পাবে। আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগের উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন\", বলছেন ড: মাহরুফ। \"শরীরের শক্তি জোগানোর জন্য আপনার আমিষের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। যখন আপনার শরীর 'ক্ষুধার্ত' থাকছে তখন এটি শক্তির জন্য দেহের মাংসপেশীকে ব্যবহার করছে। এবং এটি ঘটে যখন একটানা বহুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনি উপোস থাকছেন বা রোজা রাখছেন।\" \"যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।\" ড: রাজেন মাহরুফ তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ড: মাহরুফ বলেন, অবশ্যই, তবে একটা ব্যাপার আছে। \"রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। কিন্তু একমাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না। \"শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা কোন উপায় হতে পারে না। কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে। তখন এটি শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশীর ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে।\" ড: মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে রমজান মাসের পর মাঝে মধ্যে অন্যধরণের উপোস করা যেতে পারে। যেমন ৫:২ ডায়েট (পাঁচদিন কম খেয়ে দুদিন ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করা)। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।", "doc2": "A shekarun baya-bayan nan dai Ramadan na fadowa ne a watannin bazara a kusurwar duniya daga arewa, hakan zai janyo ranaku masu tsawo da kuma yanayi mai dumi. Hakan na nufin cewa wasu kasashe kamar su Norway, mutane za su yi azumi na tsawon sa'o'i 20 a wannan shekarar. Shin ko wane irin tasiri azumi ke yi a jikin mutum? Dr Lawal Musa Tahir wani kwararren likita da ke asibitin Nizamiye a birnin Abuja, ya lissafa alfanun azumi ga jikin dan adam guda takwas: Maraba da Watan Ramadan Rage yawan sukari daga jikin dan adam A ka'ida dai jikin mutum ba ya shiga yanayin azumi sosai sai an shafe sa'a takwas bayan abinci na karshe da mutum ya ci. Wannan shi ne lokacin da cikin mutum ya gama narkar da abubuwan gina jiki da ya samu daga abincin. Jim kadan bayan wannan lokacin, jikinmu zai koma wa sikarin da ke adane a hanta da tsokar jikinmu domin samun karfi. Bayan dan lokaci kadan, idan sikarin ya kare, to kitse ne zai koma wuri na gaba da jiki zai iya samun karfi daga gare shi. Kone kitsen jikin dan adam Idan jikin mutum ya fara kone kitse, wannan na taimakawa wajen rage kiba da rage maiko da kuma rage yiwuwar mutum ya kamu da ciwon siga. Rage teba Sakamakon kone sukari da kitse a jikin dan adam, hakan na sa nauyi da kibar dan adam ta ragu wadda hakan ce manufar motsa jiki. Inganta lafiyar zuciya Masana na cewa mutane da dama kimanin kaso 31.5 da ke mutuwa na mutuwa ne sakamakon cututtuka masu alaka da ciwon zuciya. Dr Tahir ya ce azumi na inganta lafiyar zuciya kasancewar yana kone kitse sannan ya kawar da teba, al'amarin da ke daidaita sauka da hawan jini. Shawarwari ga Musulmai kan yadda za su yi azumi cikin kulle Inganta garkuwar jiki Da zarar an kone sukari da kitse kuma an rage teba sannan an samu lafiyar zuciya to dan adam ya kan samu garkuwa da kuzari fiye da lokacin da ba ya azumi. Ita kuma garkuwa na taimaka wa jiki ne wajen hana kamuwa da wata cuta ko kuma cutar ba za ta yi tasiri a jikin dan adam ba. Tsaftace jiki da hutar da sassan jiki Idan aka ci rabin watan Ramadan, jikin mutum yana sabawa da azumi. Hanji da koda da huhu da ma fatar mutum na tsaftace kansu. Sannan sassan jikin da ke aikin tace abinci lokacin da mutum ya ci abincin za su huta ne lokacin azumi. Inganta Lafiyar kwakwalwa Kamar yadda motsa jiki yake sanya kwakwalwa ta yi aiki yadda ya kamata, to sakamakon azumi ana iya samun wannan alfanu. Hana kasala Idan mutum ya ci abinci sannan ya sha ruwa abin da ke biyo baya a mafi yawan lokaci shi ne kasala. To amma a lokacin azumi babu irin wannan kasala kasancewar ba a ci abinci ba. Bude baki To sai dai Dr Lawal Musa Tahir ya ce ya kamata jama'a su yi hattara wajen bude baki. A lokacin da jikin mutum ya fara sabawa da azumi, kitse na raguwa kuma shi ne ke zama sikari a jini. Dole sai an mayar da ruwan da mutum duk ke rasawa a yayin azumi, in ba haka ba zufa za ta iya janyo rashin ruwa a jiki. Saboda haka dole ne abincin da mutum zai ci ya kasance mai gina jiki. Ya kara da cewa \"Ya kamata a fara amfani da kayan marmari wajen bude baki sannan kuma za a iya amfani da abu mai dumi.\" Dangane kuma da mutanen da suke yin dore, Dr Tahir ya ce \"akwai matsala idan dai har a ka dauki doren al'ada, inda rumbun ajiya da ke jikin dan adam zai yi kasa kuma hakan na nufin mutum zai galabaita.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52066853", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52072439", "doc1": "পাঞ্জাবে ৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের সবার দেহে এই রোগ সংক্রমিত হয়েছে মাত্র একজনের কাছ থেকে। সত্তর-বছর বয়সী বলদেব সিং সম্প্রতি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে তার মৃত্যুর পর। এই ব্যক্তি একজন শিখ ধর্মপ্রচারক। সম্প্রতি তিনি ইতালি এবং জার্মানি সফর শেষে দেশে ফেরেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য স্বেচ্ছায় জন-বিচ্ছিন্ন থাকার যেসব উপদেশ রয়েছে তিনি তার কোনটাই মেনে চলেন নি বলে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান। ভারতে মোট করোনাভাইরাস রোগীর নিশ্চিত সংখ্যা ৬৪০। এর মধ্যে ৩০ জন রোগী পাঞ্জাবের। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতে করোনাভাইরাস রোগী আসল সংখ্যা অনেক বেশি হবে। ভারতে রোগীর পরীক্ষার হারও অনেক কম। তবে সম্প্রতি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একশো ত্রিশ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার ফল হবে বিপর্যয়কর। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে শিখ ধর্মের একটি উৎসব হোলা মহল্লা উপলক্ষে বলদেব সিং বড় ধরনের এক জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ছয়দিনব্যাপী ঐ উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। মি. সিংয়ের মৃত্যুর পর তার ১৯জন আত্মীয়র দেহে পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে, তাই নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ছে বাংলাদেশে আরো ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশে, দু'জন চিকিৎসক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রে অমৃতসরের কেন্দ্রস্থরে পুলিশ কমান্ডোেদর প্রহরা। “এপর্যন্ত আমরা ৫৫০ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পেরেছি যারা সরাসরিভাবে তার সংস্পর্শে এসেছিল। কিন্তু এই সংখ্যা এখন বাড়ছে,” পাঞ্জাবের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, “ তিনি যেখানে থাকতেন তার আশেপাশে ১৫টি গ্রাম আমরা এপর্যন্ত সিল করে দিয়েছি।\" পাশের জেলার পাঁচটি গ্রামও লকডাউন করা হয়েছে। তবে ভারতে এত বেশি সংখ্যায় মানুষকে কোয়ারানটাইনে পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম না। রাজস্থানের ভিলওয়ারা শহরের একদল ডাক্তার যারা নিজেরাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের মাধ্যমে বহু লোকের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঐ শহরের কাছের গ্রামগুলিতে ৭,০০০ মানুষ এখন কোয়ারানটাইনে রয়েছেন। ভারতে এখন ২১ দিনব্যাপী লকডাউন চলছে। কিন্তু খাবার এবং ওষুধ কেনার জন্য মানুষের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?", "doc2": "Punjab na da mutum 30 da aka tabbatar na da cutar coronavirus Mutumin mai shekara 70 ya mutu sakamakon annobar koronabairus - lamarin da aka gano bayan mutuwarsa. Mutumin wanda mai wa'azi ne, ya yi biris da shawarar ya killace kansa bayan ya koma gida daga wata tafiya zuwa kasar Italiya da Jamus kamar yadda jami'ai suka fada wa wakilin BBC a Punjab, Arvind Chhabra. Indiya a yanzu na da mutum 640 da aka tabbatar sun kamu da kwayar cutar, cikinsu 30 'yan Punjab ne. Sai dai, kwararru na bayyana damuwar cewa hakikanin adadin masu dauke da cutar na iya zarce haka da gasken gaske. Mabiya addinin Sikh a Indiya lokacin da suke kan hanyar zuwa ziyara wurin bautarsu mai tsarki na Kartarpur a kasar Pakistan Indiya na da daya daga cikin kasashe masu karancin gwajin mutanen da ake zargi na da cutar koronabairus a duniya, ko da yake ana ta kokarin bunkasa wannan aiki. Ana fargabar cewa barkewar annoba a kasa mai mutum biliyan 1 da miliyan 300 na iya zama wani babban bala'i. Mutumin wanda aka bayyana sunansa Baldev Singh, ya ziyarci wani babban taro don shagalin bikin Hola Mohalla na mabiyan addinin Sikh kafin mutuwarsa. Bikin na tsawon kwana shida na jan hankulan kimanin mutum 10,000 a kullum. Mabiya addinin Sikh na da wuraren ibada masu tsarki har a kasar Pakistan mai makwabtaka da Indiya inda kamar wannan suka je ziyara wurin bauta na Kartarpur Sai dai mako guda bayan mutuwarsa, gwajin da aka yi wa danginsa ya tabbatar da cewa mutum 19 sun kamu da koronabairus. Wani babban jami'i ya fada cewa \"Zuwa yanzu, mun iya bin sawun 550 cikin mutanen da suka yi hulda da shi kai tsaye amma adadin yana karuwa. Mun killace kauye 15 a yankin da ya je ziyara\". An sake rufe wasu kauyuka guda biyar da ke kusa da lardin da abin ya faru. Ba dai wannan ne karon farko da cudanya da wani mai cuta ya janyo kebe dumbin mutane ba a Indiya. A Bhilwara, wani birni mai masakun atamfa da ke jihar Rajistan ta arewacin Indiya, ana fargabar cewa wani ayarin likitoci da wani maras lafiya ya harba wa cutar, mai yiwuwa ne sun yada ta ga daruruwan mutane. An sanya matakin hana fita ga mutum 7,000 da ke kauyuka masu makwabtaka da birnin. Gwamnatin Indiya ta ayyana rufe kasar ba shiga ba fita na tsawon kwana 21, ko da yake ba a hana mutane su fita don sayen kayan abinci da magunguna ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54172758", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54172071", "doc1": "ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে আরব আমিরাত ও বাহরাইন দুই উপসাগরীয় দেশ আরব আমিরাত ও ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখার চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মি. ট্রাম্প। আরব আমিরাত, ইসরায়েল ও বাহরাইন তিন দেশের মত মি. ট্রাম্পও এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতাতেই এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর বাহরাইন ও আরব আমিরাত তৃতীয় ও চতুর্থ উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিল। মি. ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে অন্যান্য দেশও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তবে ইসরায়েলের সাথে দ্বন্দ্বের সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত সেরকমটা যেন না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন। বছরের পর বছর ধরে সিংহভাগ আরব দেশ ইসরায়েলকে বয়কট করে এসেছে। আরব দেশগুলোর বক্তব্য ছিল ফিলিস্তিনের সাথে ইসরায়েলের বহু বছর ধরে চলা দ্বন্দ্বের সমাধান হলেই কেবল তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া কয়েক'শো মানুষের উদ্দেশ্যে মি. ট্রাম্প বলেন, \"কয়েক দশকের বিভক্তি এবং সংঘাতের পর আমরা নতুন এক মধ্য প্রাচ্যের উত্থানের সূচনা করছি।\" তিনি বলেন, \"আজ আমরা এখানে জড়ো হয়েছি ইতিহাস বদলে দিতে।\" ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, \"এই দিনটি ইতিহাস পরিবর্তনের ক্ষণ, শান্তির নতুন দিগন্তের সূচনা।\" তবে ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সরে গেলেই কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সংবাদ সংস্থা এএফপি'র খবর অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে বলেন: \"ইসরায়েলের অধিগ্রহণের সমাপ্তি না হলে ঐ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ফিরবে না।\" ওদিকে যখন চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছিল, সেসময়ও ইসরায়েল থেকে গাজা উপত্যকা থেকে দু'টি রকেট ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আরো পড়তে পারেন: উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি এলো যেভাবে ঐতিহাসিক চুক্তির পরে টেলিফোন যোগাযোগ চালু করলো ইসরায়েল ও আমিরাত এই চুক্তির ফলে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আসতে পারে এই চুক্তিকে কেন ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে? আরব আমিরাত ও বাহরাইনের আগে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া দেশ ছিল শুধুমাত্র মিশর ও জর্ডান, যারা ১৯৭৮ ও ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছিল। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় আরব লিগের সদস্য মৌরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ২০১০ সালে সম্পর্কচ্ছেদ করে। এখন দেখার বিষয় উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কি না। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা এ ধরণের কোনো চুক্তি করতে প্রস্তুত নয়। এই চুক্তির ফলে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে হওয়া পারস্পরিক সম্পর্কের জের ধরে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। ইসরায়েলের পাশাপাশি বেশকিছু আরব রাষ্ট্রেরও ইরানের সাথে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক রয়েছে। গত আগষ্ট মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথাকথিত \"আব্রাহাম চুক্তি\" ঘোষণা করেন। ফিলিস্তিনিরা কেন এই চুক্তির নিন্দা করছে? ফিলিস্তিনিরা মনে করছে এই চুক্তি করে তাদের সাথে ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে বহু বছরের একটা ঐকমত্য ছিল। সেটি হচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক একমাত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার মাধ্যমেই হতে পারে। ফিলিস্তিনিরা বলছে এই চুক্তি করে উপসাগরীয় দেশগুলো ঐ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে। আরব আমিরাত অবশ্য বলছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি চুক্তির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ এবং এই চুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাজি হতে হবে যে পশ্চিম তীরের এক বিরাট ফিলিস্তিনি এলাকা তারা নিজেদের সীমানা ভুক্ত করবে না। জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'বিতর্কিত' প্রস্তাবিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পশ্চিম তীরের বড় একটি অংশ ইসরায়েলের সীমানাভুক্ত করার কথা ছিল। ফিলিস্তিনিরা মি. ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাত বলে অভিযোগ করেছিল এবং সতর্ক করেছিল যে ঐ সংযুক্তির ফলে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা নষ্ট হবে এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ১ সেপ্টেম্বর চুক্তি নিয়ে বিতর্কের পেছনের কারণ মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের একে অপরের বিরুদ্ধে নেয়া কূটনৈতিক পদক্ষেপের পেছনের কারণ মূলত ধর্মীয়। দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের মূল ভিত্তি ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিন্নতা। দুই দেশ ইসলাম ধর্মের প্রধান দুই শাখার অনুসারী - ইরান মূলত শিয়া মুসলিম এবং সৌদি আরব নিজেদের বিশ্বের শীর্ষ সুন্নি মুসলিম শক্তি হিসেবে মনে করে। আরব আমিরাত ও বাহরাইন দুই দেশই সৌদি আরবের মিত্র। এই চুক্তির পর সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর থাকবে পুরো বিশ্বের। এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি যে তারা বাহরাইন বা আরব আমিরাতের পদক্ষেপ অনুসরণ করবে।", "doc2": "Amurka na son yarjeniyoyin su kawo zaman lafiya a Gabas ta Tsakiya Mista Trump na magana ne yayin da ƙasashen Larabawan na yankin tekun Gulf suka rattaba yarjeniyoyin mayar da cikkkiyar dangantaka da isra'ila. Duka ƙasashen uku sun yaba wa yarjeniyoyin, suna cewa an kafa tarihi, kuma Mista Trump ma ya yi furuci irin wannan. Ƙasashen Larabawan biyu sun kasance na uku da na huɗu cikin jerin ƙasashen da suka mayar da dangantakar da suka kwance da Isra'ila tun bayan da aka kafa ta a 1948. Ministocin harkokin waje na Bahrain da Haɗaɗɗiyar Daular Larabawa tare da Benjamin Netanyahu da Mista Trump Mista Trump na fatan sauran ƙasashen Larabawa za su bi sahun waɗannan ƙasashen biyu, amma Falasdinawa sun buƙaci sauran ƙasashen su juya wa matakin baya har sai an warware rikicin mamaye kasar Falasɗinuda Isra'ila ta daɗe tana yi. Mista Trump ya ce \"Bayan gomman shekaru na rarrabuwa da rikice-rikice, a yau mun kafa harsashin sabuwar Gabas ta tsakiya. Ya yi jawabi ne ga jama'ar da suka taru a Fadar White House a ranar Talata. Firaministan Isra'ila Benjamin Netanyahu ya yi maraba da yarjeniyoyin, yana cewa, \"Wannan rana ce ta kafa tarihi; kuma tana albishirin samar da sabuwar hanyar zaman lafiya.\" Amma shugaban Falasdinawa Mahmoud Abbas ya ce hanyar zaman lafiya ɗaya ce, wato Isra'ila ta janye daga yankunan Falasdinu da ta mamaye. \"Zaman lafiya, da tsaro da kuma ci gaban yankin za su samu ne kawai bayan da Isra'ila ta daina mamayar kasashen Falasdinu. Ya bayyana matsayarsa ne a wata sanarwa da ya fitar bayan da ƙasashen suka ƙulla yarjeniyoyin. Sojojin Isra'ila sun ce an harba rokoki biyu daga cikin zirin Gaza zuwa cikin Isra'ila yayin da ake bikin kulla zaman lafiyar a Amurka. An haska tutocin ƙasashen da suka sanya hannu a yarjeniyoyin a bangon da ya zagaye tsohon birnin Qudus. Hankali zai koma kan sauran ƙasashen Larabawan da ke yankin, domin a ga ko su ma za su miƙa wuya ga bukatun Amurka. Kawo yanzu dai Saudiyya ta ce ba ta shirya ba tukuna. Ana ganin yarjeniyoyin wata hanya ce da Amurka da kuma Isra'ila ke bi ta yaƙar Iran."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53770063", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54125028", "doc1": "ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, \"এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে\" বলে তারা আশা করেন। তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরায়েলের অংশ করে নেয়ার কাজ আপাতত স্থগিত রাখবে। ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত কোন উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ঐ অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মিস্টার নেতানিয়াহু হিব্রুতে টুইট করেছেন, \"এক ঐতিহাসিক দিন\" বলে। যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বলেছেন, \"এটি ঐ অঞ্চলে কূটনীতির বিজয়।\" তিনি একে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বর্ণনা করে বলেন, এর ফলে উত্তেজনা কমবে এবং অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? ইসরায়েলের সাথে কিছু আরব দেশের 'গোপন মৈত্রী'? এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোন আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন।", "doc2": "Firaiministan Isra'ila Benjamin Netanyahu da Yarima mai jiran gadon Bahrain Salman bin Hamad al-Khalifa \" Ita ce kasar Larabawa ta biyu da take neman zaman lafiya da Isra'ila a cikin kwana 30,\" in ji Mr Trump a sakon da ya wallafa a Twitter. Galibin kasashen Larabawa sun kwashe shekara da shekaru suna janye jiki daga Isra'ila, suna masu cewa za su kulla dangantaka da ita ne kawai idan ta yi sulhu da Falasdinawa. Sai dai a watan jiya Hadaddiyar Daular Larabawa ta amince ta kulla yarjejeniyar zaman lafiya da Isra'ila. Da ma dai an yi hasashen cewa Bahrain za ta biyo baya. Mr Trump, wanda ya gabatar da shirinsa na zaman lafiya a Gabas Ta Tsakiya a watan Janairu wanda ke da zummar sulhunta Isra'ila da Falasdinu, ya shige gaba wajen kulla dangantaka tsakanin kasashen biyu da Isra'ila. Firaiministan Isra'ila Benjamin Netanyahu ya ce yana \"farin ciki\" da cimma \"wata yarjejeniyar zaman lafiyar\" da wata kasar Larabawan. \"Yau an sake kafa tarihi!\" a cewar Mr Trump, inda ya kara da cewa: \"Manyan abokanmu biyu Isra'ila da Bahrain sun amince da yarjejeniyar zaman lafiya.\" Bahrain ta zama kasar Larabawa ta hudu a Gabas Ta Tsakiya da ta amince da Isra'ila tun kafuwarta a 1948. Sauran kasashen su ne Masar da Jordan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50998082", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50985520", "doc1": "ইরানে জেনারেল কাশেম সোলেইমানের শোক মিছিলে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ ইরান প্রেসের তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আহভাজ শহরে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আগামী কয়েকদিন ধরে তার এই শেষকৃত্যানুষ্ঠান চলবে। সাতই জানুয়ারি তাকে নিজ শহর কেরমানে দাফন করা হবে। শনিবার ইরাকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, 'আমেরিকার মৃত্যু চাই'। আরো পড়ুন: সোলেইমানির জানাজার পর বাগদাদের গ্রিন জোনে হামলা আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে সোলেইমানির জানাজায় শ্লোগান ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি ট্রাম্পের সোলেইমানি হত্যার কী প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান? শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার মার্কিন এক হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ মোট ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন। শনিবার ইরাকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বাগদাদের গ্রিন জোনে হামলা ইরাকেজেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজার বিশাল মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পরে বাগদাদ অঞ্চল কেঁপে ওঠে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে। সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইরাকের রাজধানীর উত্তরাংশের বালাদ বিমান বন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়, যেখানে মার্কিন বাহিনীর বাস। তবে, ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ইরানের নেতারা কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সোনার দাম বৃদ্ধি সোলেইমানি হত্যার প্রভাব? এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের সংখ্যা বেড়েছে যে কারণে হেফাজতের ভিডিও পোস্ট করে বিড়ম্বনায় ইমরান খান শোক মিছিলে অংশ নেয়া অনেকের হাতে ছিল কাশেম সোলেইমানের ছবি ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তেহরান যদি আমেরিকার নাগরিক কিংবা মার্কিন সম্পদের উপর হামলা চালায় তাহলে তার জবাবে ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইটকে \"টার্গেট করছে\" এবং \"খুব দ্রুত এবং খুব কঠোরভাবে\" হামলা চালানো হবে। একটি ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান তার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।এই ধারাবাহিকতায় এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।", "doc2": "Calls to prayer were made at the funeral procession in Baghdad Masu tattakin zagaye da gawar Qasem Soleimani sun zagaya manyan titunan Baghadaza a safiyar ranar Asabar. Tattakin ne ke kaddamar da zaman makokin rasuwar Janar Soleimani. Qasem Soleimani shi ne kwamandan rundunar sojin Iran mai suna Quds Force, wadda ke ayyukanta a kasashen waje a yankin Gabas ta Tsakiya. Kasar Iran ta sha alwashin daukar \"mummunar fansa\" a kan kisan nasa. Za a mayar da gawarsa zuwa Iran, inda za a binne shi a kauyensu. Masu zaman makokin sun kuma yi juyayin mutuwar Abu Mahdi al-Muhandis, kwamandan rundunar Kataib Hezbollah. Abu Mahdi al-Muhandis dan asalin Iraqi, shi ne kwamandan mayakan sa-kai da Iran ke goyon baya a cikin Iraki. Tun da sanyin safiyar ranar Asabar ne masu tattakin suka yi dafifi dauke da hoton Soleimani da jagoran addini Iran Ayatollah Ali Khamenei da kuma tutocin Iraqi da na mayakan sa-kai, suna yin wakokin la'antar Amurka. Rahotanni na cewa a yammacin ranar Asabar ne za a tafi da gawar Soleimani Iran, wadda ta riga ta ayyana zaman makokin kwana uku saboda kisan janar din nata. A bangare guda kuma, wasu 'yan Iraqi sun yi tattaki a wasu titunan Baghadaza domin murnar samun labarin mutuwar Soleimani. Ana zargin marigayi Soleimani da kitsa murkushe zanga-zangar masu rajin dimokuradiyya a baya-bayan nan. Masu makoki sun zagaye motar da ke dauke da gawar Qasem Soleimani Yanzu abin da shugaban Iran ya mayar da hankali a kai shi ne isar da wani kakkarfan sako da zai nuna yadda janar din ke da muhimmaci ga gwamnatin kasar. Soleimani shi ne jami'in sojin Iran mafi muhimmanci a Iraki kuma jami'in tara bayanan sirri na soji mafi muhimmanci. Yanzu shugaban na neman ganin irin manyan gangamin da za a gudanar game da kisan Soleimani a manyan titunan kasar domin nuna Soleimani a matsayin gwarzo kuma shahidi. Wane ne Janar Qasem Soleimani? Qasem Soleimani na daya daga cikin mutane da ke da tasiri a Gabas ta Tsakiya Mai shekara 62 da haihuwa, Janar Soleimani ya jagoranci fitattun sojojin Qurdawa wadanda Amurka ta zarga da shirya kai hare-hare kai tsaye ko kuma ta hanyar hanyoyin da suke kusa da su - a cikin nahiyoyi biyar na duniya. Shugaba Donald Trump ne ya bayar da umarnin kai harin bayan wasu hare-hare na baya-bayannan kan ofishin jakadancin Amurka a Iraki wanda aka dorawa mayakan da ke samun goyon bayan Iran. Suna da shahara a Iran Wasu na girmama kwamandan, wasu sun ƙi shi, da kuma sauran bayanai da ake wallafawa game da Janar Soleimani. Rahotanni na cewa Soleimani ya na da kusanci da jagoran addini a Iran Ayatollah Ali Khamenei Ya fara shahara ne a baya-bayannan inda yake jagorantar ayyuka domin yin suna da samun karbuwa a Iran, inda kuma ake bada rahoto game da shi a kafafen yada labarai. Yadda ya shahara zuwa matakin babban kwamanda Ana tunanin Soleimani ya taso ne a gidan da ba masu kudi ba sannan yana da karancin ilimin boko. Sai dai Soleimani Amma ya yi suna cikin sojojin Juyin Juya Halin - wadanda suka yi fice a Iran kuma an ruwaito su suka fi kusa da Jagoran addini a Iran Ayatollah Ali Khamenei. Ya yi suna a lokacin yakin da aka yi tsakanin Iran da Iraki tsakanin 1980 zuwa 1988 daga nan kuma ya samu karin matsayi zuwa babban kwamanda. Bayan ya zamo jagoran dakarun Qurdawa a 1998, Soleimani ya yi kokarin fadada tasirin Iran a gabas ta tsakiya ta hanyar jagorantar hare-hare tare da samar da makamai ga kawaye da kuma bunkasa mayakan dake bai wa Iran goyon baya. Soleimani ya taimaka wa 'yan Shi'a da kungiyoyin Kurdawa a Iraqi da ke yaki da Saddam Hussein da wasu kugiyoyi a yankin har da kungiyar Hezbollah a Lebanon da Hamas a yankunan Palastinawa. Qassem Soleimani (hagu) lokacin wasu jerin hare-hare kan mayakan IS a 2015 Bayan Amurka ta mamaye Iraki a 2003, Soleimani ya fara bai wa mayaka umarnin kai hare-hare kan dakarun Amurka da sansanin sojojin Amurkan, lamarin da ya halaka daruruwa. An kuma ce ya samar da wata dabara ga Shugaban Syria, Bashar al-Assad domin mayar da martani kan tawayen da aka yi masa a 2011. Tallafin da Iran da Rasha suka ba shi ya sa lamura sun sauya kan 'yan tawayen abin da ya bai wa gwamnatin damar kwace mahimman birane da yankuna. Tasirin Soleimani a yaki da mayakan IS a Iraki Key A wasu lokutan an sha ganin Soleimani da kan shi a jana'izar 'yan Iran da Syria da Iraki suka kashe. Ya na kuma da tasiri a a yakin da aka yi da kungiyar IS a Iraki. Iran ta taimaka wajen bada makamai da horas da dakaru abin da ya taimaka wajen samun galaba kan IS amma da yawan 'yan Iraki na ganin kamar mulkin mallaka Iran din ta yi. Mayakan Iraki sun yaki IS Sai dai karbuwar da Soleimani ya samu ta wuce gabas ta tsakiya. A 2011, an zargi dakarun Kurdawa da hannu a shirya kisan jakadan Saudiyya aAmurka ta hanyar jefa bam a wani gidan cin abinci a Washington. Bayan shekara biyu kuma, wata kotu a Jamus ta samu wani sojin Kurdawa bisa samunsa da yiwa tsohon shugaban kungiyar (German-Israeli group) da mutanen da ke kusa da shi leken asiri. A Aprilun 2019, Saakataren harkokin wajen Amurka, Mike Pompeo ya sake sauyawa dakarun juyin juya hali da dakarun Kurdawa fasali. Zama barazana ga Amurka Abubuwan da suka faru sun kasance kan gaba a Iraki sakamakon hare-haren ramuwar gayya tsakanin sojojin Amurka da dakarun da ke samun goyon bayan Iran. A ranar Lahadi, Amurka ta kaddamar da wasu hare-hare a Iraki da Syria kan mayakan Iraki da ke samun goyon bayan Iran wanda kuma aka dora wa Iran din alhakin harin da ya kashe wani farar hula dan Amurka. An kashe Janar Qasem Soleimani sakamakon wani harin sama kusa da filin jirgin saman Bagadaza. Wasu fusatattun jama'a sun yi ba dai dai ba a wani wajen cin abinci da ke ofishin jakadancin Amurka a Bagadaza abin da ya sa dakarun Amurka harba hayaki mai sa hawaye domin tarwatsa su. An kuma tura wasu karin dakarun Amurka zuwa yankin domin kare sansanonin sojoji amma mutane kalilan ne suka yi tsammanin irin haka za ta faru kan wani babban jami'i a Iran. Cikin wata sanarwa, ma'aikatar tsaron Amurka Pentagon ta ce Soleimani ya dade \"yana bijiro da tsare-tsaren kai wa jakadun Amurka hari a Iraki da kuma sauran sassan yankin\". \"Janar Soleimani da dakarun Kurdawa su ne suka kashe daruruwan Amurkawa tare da raunata wasu da dama,\" kamar yadda sanarwar ta bayyana. Sai dai wasu a Amurka sun yi ayar tambaya kan matakin. Daya daga cikin mayan 'yan takarar da ke zawarcin kujerar shugaban kasa a Amurka kuma tsohon mataimakin shugaban kasa, Joe Biden ya wallafa a Twitter cewa harin ''babbar alamar takalar fada ne\" kuma ya ce Shugaba Donald Trump ya tsokano fada ne\". \"Muna iya kasnacewa dab da fadawa wani babban rikici a sassan gabas ta tsakiya\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52873056", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53014383", "doc1": "দিনের বেলায় প্রতিবাদগুলো শান্তিপূর্ণই ছিলো অধিকাংশ জায়গাতেই প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো শুরু হয়েছিলো শান্তিপূর্ণভাবেই এবং কয়েকটা জায়গায় শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণই ছিলো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীরা শেষ পর্যন্ত পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে, ভাংচুর করেছে ও দোকানপাট লুটের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের জের ধরে পনেরটি রাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই এর সাথে ২০১১ সালে ইংল্যান্ড দাঙ্গার মিল খুঁজে পান-যেখানে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হবার প্রতিবাদে দাঙ্গার মধ্যে ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি, ব্যাপক সংঘাত আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান লন্ডনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ: বর্ণবাদের যাতাকলে ৩০ বছর প্রতিবাদের একটি দৃশ্য কিলি ইউনিভার্সিটির ক্রাউড বিহ্যাভিয়ার অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার পোলিশিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লিফর্ড স্টট বলছে মিস্টার ফ্লয়েডের মৃত্যুর মতো ঘটনা মূহুর্তটি তৈরি করেছে কারণ পুলিশ ও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সেটিই এখানে প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য আছে সেখানে সংঘাত অনেকটাই অবশ্যম্ভাবী, বলছিলেন তিনি। এর মানে হলো যখন পুলিশ যখনই উৎসাহী হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়েছে সেটি দাঙ্গাকারীদেরও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে শক্তি যুগিয়েছে। পুলিশী পদক্ষেপ যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল স্থানীয়দের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে সহিংস প্রতিবাদ কমই হতো- কিন্তু প্রতিবাদের ক্ষেত্রে পুলিশ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এখানে তাও গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্লেষকরা বলছেন। প্রফেসর স্টট বলছেন, \"দাঙ্গা হলো দু পক্ষের মিথষ্ক্রিয়ার ফল-বিশেষত পুলিশ যেভাবে জনতাকে সামলেছে\"। যেমন ধরুন, বড় প্রতিবাদের ক্ষেত্রে উত্তেজনার শুরু হয় কয়েকজনের পুলিশের সাথে ঠেলাঠেলির মধ্য দিয়ে। ইউসিএলএ'র ডিন ডারনেল হান্ট মনে করেন সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ তাদের আগ্রাসী ভূমিকা দেখিয়েছে। \"ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, রাবার বুলেট, টিয়ার শেল, মরিচের গুড়ো- এগুলো দিয়েই পুলিশ জবাব দিয়েছে যেখানে আগে থেকেই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর ছিলো\"। অ্যাপল স্টোরে লুটপাট একই প্যাটার্ন বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে দেখা যায়। যেমন হংকং। প্রফেসর স্টট মনে করেন প্রতিবাদে সহিংসতাকে এড়ানোর জন্য ধৈর্য্য ধারণের প্রশিক্ষণ পুলিশকে দেয়া হয়। ক্যামডেন, নিউ জার্সিসহ কয়েকটি জায়গায় যেমন পুলিশ নিজেও স্থানীয়দের সাথে বর্ণবাদ বিরোধী র‍্যালিতে অংশ নিয়েছে। রাইস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মারলুন মুজিমান বলছেন নৈতিক ও মনোজাগতিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলেই সহিংসতার কারণ উপলব্ধি করা যায়। পুলিশের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ \"কোনো কিছু যখন আমরা অনৈতিক মনে করি তখন তা আমাদের মধ্যে একটি শক্ত অনুভূতির জন্ম দেয়। কারণ আমরা মনে করে করি আমাদের নৈতিক অবস্থান সুরক্ষিত থাকা দরকার\"। লুটপাট ও ভাংচুর বেশি টার্গেট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে এবং বড় ধরণের লুটপাট হয়েছে লস এঞ্জেলস ও মিনেয়াপোলিসে। প্রফেসর স্টট বলছেন কিছু ক্ষেত্রে লুট করাটা ক্ষমতা দেখানোর অংশ- কৃষ্ণাঙ্গরা পুলিশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়তো সহজ নয় কিন্তু দাঙ্গার ক্ষেত্রে দাঙ্গাকারীরা একটা সময়ের পুলিশের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে পড়ে। কিভাবে সহিংসতা ঠেকানো যেতো ? পাবলিক অর্ডার বিশ্লেষকরা বলছেন পুলিশের জন্য প্রতিবাদকারীদের সাথে আলোচনাটা গুরুত্বপূর্ণ। \"ভালো পুলিশিং হলো 'আমরা ' ও 'তারা' মানসিকতা পরিহার করা,\" বলছিলেন প্রফেসর স্টট। প্রফেসর হান্ট বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের দাঙ্গা ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের মৃত্যু পরবর্তী সহিংসতার চেয়ে বেশি মারাত্মক।", "doc2": "Mun duba wasu daga cikin alkaluma da ke da alaƙa da laifuka da shari'a a Amurka, kuma alƙaluman sun nuna irin abubuwan da baƙar fata suke fuskanta idan ana batun doka da oda. 1. Akwai yiwuwar a rinƙa kashe ɓakar fata a Amurka Alƙaluman sun nuna adadin yadda 'yan sanda suka harbe baƙar fata, akwai yiwuwar a rinƙa kashe su idan aka kwatanyta da yawan su a Amurka. Duk da cewa a 2019, baƙar fata su ne kashi 14 cikin 100 na yawan 'yan Amurka, su ke da kashi 23 cikin 100 na sama da mutum 1,000 da aka kashe a Amurka. Kuma wannan adadin yana nan yadda yake tun 2017, sai dai yawan farar fata da ake kashewa ya ragu. 2. Ana yawan kama baƙar fata sakamakon shan miyagun ƙwayoyi A 2018, cikin ko wane mutum 100,000, ana samun 750 da baƙaken fata ne waɗanda aka kama sakamakon shan miyagun ƙwayoyi, idan kuma aka kwatanta da farar fata da ake samun mutum 350 cikin 100,000. Bincike na baya da aka gudanar kan batun shan miyagun ƙwayoyi ya nuna cewa yawan yadda ake kama farar fata sakamakon miyagun ƙwayoyi yana nan yadda yake inda kuma adadin na baƙar fata na ƙaruwa a kullum. Misali, wani bincike da ƙungiyar American Civil Liberties ta yi ya nuna cewa akwai yiwuwar kama baƙar fata da kusan ninki 3.7 kan batun tabar wiwi idan aka kwatanta da farar fata duk da yawan yadda suke amfani da tabar wiwi ɗin duk kusan ɗaya ne. 3. An fi kai ɓakar fata fursuna Ana kai baƙar fata gidan fursuna da kusan ninki biyar idan aka kwatanta da farar fata. A 2018, baƙar fata ne ke da kashi 13 cikin 100 a yawan mutanen da ke Amurka, amma kuma a hakan su ke da kusan kashi uku na yawan 'yan fursuna a ƙasar. Farar fata ke da kashi 30 cikin 100 na yawan fursunoni a Amurka - duk da cewa su ke da kashi 60 cikin 100 na yawan mutane a Amurka. Wannan na nufin a cikin duk ɓakar fata 100,000, akan samu 1,000 da ake ke gidan fursuna, idan aka kwatanta da na farar fata da ake samun 'yan fursuna 200 cikin 100,000. Yawan baƙar fata waɗanda ake kai wa gidan fursuna ya ragu matuƙa fiye da shekaru goma, sai dai har yanzu su ke da adadi mafi yawa na 'yan fursuna a ƙasar"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42408126", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-42406652", "doc1": "২০১৫ সালে বাড়িটিকে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচাইতে দামী বাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছে বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাড়িটি তিনি কিনেছেন। শেল কোম্পানি হলো একধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ভবিষ্যতে ব্যতিক্রমী কোনো আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বিভিন্ন দলিলপত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়িটির মালিক একটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, যা প্রিন্স মোহাম্মদের ব্যক্তিগত ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে সৌদি সরকার কোন মন্তব্য করেনি। সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তবে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওই রিপোর্ট করেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রিন্স মোহাম্মদ সৌদি আরবে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযান পরিচালনা করছেন। এসব অভিযানে আটক কয়েকজন প্রিন্স, মন্ত্রী এবং বিলিয়নিয়ারসহ প্রভাবশালী কয়েক ডজন সৌদি ব্যক্তিত্বকে রিয়াদের পাঁচতারকা হোটেল রিৎজ-কার্লটনে বন্দি রাখা হয়েছে। কেমন সেই বাড়ি? শ্যাঁতু লুই ফোরটিন নামের বাড়িটি ১৭ শতকে ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির কাছেই বাড়িটি অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দুর্গ হিসেবে নির্মিত বাড়িটিকে ২০০৯ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়। বাড়িটিতে একটি ওয়াইন সেলার এবং একটি সিনেমা হল রয়েছে। বাড়িটি ঘিরে চারদিক থেকে পরিখা খনন করা রয়েছে। আর পানির নিচে রয়েছে একটি বিশেষ চেম্বার। আরো পড়ুন:রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সৌদি আরবে কে এই প্রবল ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের পর সৌদি আরবে তোলপাড় ২০১৫ সালে বাড়িটিকে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচাইতে দামী বাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছে। বাড়িটিতে থাকা ফোয়ারা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, আলো এবং মিউজিক সিস্টেম স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ২০১৫ সালে প্রিন্স মোহাম্মদ এক রুশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬০ কোটি ডলার খরচ করে একটি ইয়ট কিনেছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস ওই রিপোর্টে আরো দাবী করা হয়েছে, মাত্র গত মাসে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্মটির মালিক ছিলেন প্রিন্স মোহাম্মদ। ''স্যালভ্যাতো মুন্ডি (বিশ্বের ত্রাণকর্তা বা সেভিয়র অফ দ্য ওয়ার্ল্ড)\" নামে পরিচিত ঐ চিত্রকর্মটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্য ল্যুভর মিউজিয়ামে শোভা পেতে যাচ্ছে।", "doc2": "Hoton gidan alfarmar da ake zargin yarima mai jiran gado na Saudiyya ya siya a Faransa Jaridar ta ce, takardun cinikin gidan da aka yi a shekarar 2015, an gano cewa shi ya sayi gidan ta hanyar amfani da wasu dumbin kamfanoni da aka yi wa rijista. Gidan wanda ke dab da fadar shugaban kasar Faransa, yana da wurin ajiyar giya na karkashin kasa da sinima da korama da kifaye masu alfarma nau'in koi, da sturgeon da kuma wurin shakatawa na alfarma da ke karkashin kasa. Kudin gidan dai ya kai dala miliyan 320, wanda mujallar Fortune ta kira shi da gidan da ya fi sauran gidaje tsada a duniya. To sai dai kuma gwamnatin Saudiyya ba ta ce komai ba a kan rahoton. Mai magana da yawun ofishin jakadancin Saudiyya a Amurka, ta zargi ma'aikatan jaridar da yin rahoto son rai. Yarima Muhammad bin Salman na Saudia, na yaki da cin hanci da rashawa a kasar A watannin baya-bayan nan, Yarima Mohammed, ya jagoranci yaki da cin hanci da rashawa da cin amanar kasa da kuma yadda ake nuna wa wasu gata a kasarsa. A shekarar 2015, an rawaito cewa, yariman ya sayi wani jirgin ruwa na alfarma daga wajen wani hamshakin dan kasuwa a Rasha a kan kudi dala miliyan 590. Kazalika jaridar ta New York Times, ta rawaito cewa shi ne kuma ya sayi wani zane na Salvator Mundi, wanda Leonardo da Vinci ya yi a kan kudi dala miliyan 450."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51712407", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51738576", "doc1": "সংক্রমণ এড়াতে অনেকেই মাস্ক পরে চলাচল করছেন। এখনও পর্যন্ত ৬০টি দেশের লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এতে হয়তো আরো অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন। এত দ্রুত গতিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে একে ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের উপর ভিত্তি করে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড ও ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস লোকজনকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যে কী হলে কী করতে হবে। কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়? করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ঠিক কীভাবে ছড়ায় সেটি এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে এই একই রকমের ভাইরাস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির সময় তার নাক ও মুখ দিয়ে যা নির্গত হয় (জলীয় পদার্থের কণা বা ড্রপলেট) তার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। তাই হাঁচি ও কাশির সময় আপনি এমন কিছু করতে পারেন - যার ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। এনএইচএসের পরামর্শ হচ্ছে, আপনাকে নিয়মিত ও বারবার হাত ধুতে হবে। আপনি যখন হাঁচি ও কাশি দেবেন তখন টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে। একই সঙ্গে আপনার হাত পরিষ্কার না হলে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। ডাক্তাররা যদি আপনাকে প্রচুর লোক সমাগম হয় এরকম জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন, তাহলে আপনাকে সেটা অনুসরণ করতে হবে। পার্সেল, প্যাকেট, চিঠি অথবা খাদ্যের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে এখনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। মনে রাখতে হবে, করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাস শরীরের বাইরে দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে না। আমি কি আক্রান্ত হতে পারি? যুক্তরাজ্যে মেডিকেল কর্মকর্তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মাত্রা বৃদ্ধি করেছেন। তবে এনএইচএস বলছে, এই ঝুঁকি এখনও কম। তবে কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি। একারণে সেসব দেশে ভ্রমণ করার বিষয়ে একদিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, অন্যদিকে সেসব দেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ওপরেও সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, ইটালি ও ইরান। তার পরেও যদি আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার শরীরে সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা দেবে এবং আপনি হয়তো একসময় সেরেও উঠবেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার খুব কম। আক্রান্তদের এক থেকে দুই শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়াও যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগই বয়স্ক, অথবা তারা আগে থেকেই অন্য কোনো অসুখে ভুগছিলো। তবে ভাইরাসটি যেহেতু এখনও তার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে তাই নিশ্চিত করে এর পরিণতি সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সংক্রমণ ধরাই পড়ে না। সেকারণে এসব পরিসংখ্যান এখনও পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়। আক্রান্ত হলে কীভাবে জানতে পারবো? নতুন এই করোনাভাইরাসে, যার নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-১৯, আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসে, তার পর দেখা দেয় শুষ্ক কাশি এবং সপ্তাহখানেক পর শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। তবে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে 'ঘরে থাকুন' করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটি কে? করোনাভাইরাস: শিশুরা কেন অসুস্থ হচ্ছে না? কারণ এসব উপসর্গের সাথে অন্যান্য ভাইরাসের উপসর্গেরও মিল রয়েছে। যেমন ঠাণ্ডা ও সর্দি-কাশির মতো ফ্লু। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হলে নিউমোনিয়া হতে পারে, দেখা দিতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা, কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে, এমনকি হতে পারে মৃত্যুও। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত বয়স্ক লোকজন এবং আগে থেকেই যাদের বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে ( যেমন অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ) তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। আক্রান্ত মনে হলে কী করতে হবে? ব্রিটেনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যদি মনে হয় যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, বা এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে মনে হচ্ছে, তাহলে কিন্তু আপনি সাথে সাথেই ক্লিনিক বা হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন না। বরং আপনি টেলিফোনে একটি বিশেষ নম্বরে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার কথা শুনে তারা আপনাকে বলে দিতে পারবেন যে এর পর আপনাকে কী করতে হবে। এর ফলে আপনাকে হয়তো নিজের উদ্যোগেই অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে বলা হতে পারে। আমাকে কীভাবে পরীক্ষা করা হবে? আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে থেকে থাকেন অথবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলেই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা যদি মনে করেন যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, তখন তারা আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তখন আপনার কাছে থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ৬০টির মতো দেশে। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা: বিবিসি সংবাদদাতাদের চোখে করোনাভাইরাস: মৃতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়ালো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কতোখানি? তার পর এসব নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। কতোদিনে এর ফল পাওয়া যাবে সেটা একেক দেশে একেক রকমের হতে পারে। তবে ব্রিটেনে সেটা একদিনেই পাওয়া যাবে। পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত আপনাকে বাড়িতে নিজেকে একটু বিচ্ছিন্ন করে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। স্বেচ্ছায় কীভাবে বিচ্ছিন্ন হতে হবে? অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হতে পারে। বলা হতে পারে অন্যদের সংস্পর্শে না যেতে। তখন আপনাকে যা করতে হবে: বাড়িতে লোকজনের আসা এড়িয়ে চলুন আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনকে অনুরোধ করতে পারেন আপনার জন্যে কিছু বাজার-সদাই করে দিতে। এমনকি ওষুধের প্রয়োজন হলে নিজে ফার্মেসিতে না গিয়ে সেটাও এনে দিতে বলতে পারেন। প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা চলছে। বাড়িতে আপনার সঙ্গে আরো যারা বসবাস করেন, তারা যাতে আক্রান্ত না হন সেজন্য আপনাকে অতিরিক্ত কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, আপনাকে থাকতে হবে আলাদা একটি ঘরে। বাথরুমে ও রান্না ঘরে যাবেন সবার পরে এবং সাথে সাথেই ওই ঘরগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। আর এটা আপনাকে করতে হবে ১৪ দিন ধরে। পরীক্ষায় যদি দেখা যায় আমি আক্রান্ত, তারপর কী হবে? এখনও করোনাভাইরাসের কোন চিকিৎসা বের হয়নি। তবে আপনার দেহ যখন এই ভাইরাসটির সাথে যুদ্ধ করছে - তখন যেসব উপসর্গ দেখা যাবে সেগুলো কমিয়ে আনতে চিকিৎসা নিতে পারেন। তখন অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা থাকতে হবে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে নিজেকে। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা চলছে। আশা করা হচ্ছে এবছরের শেষ নাগাদ মানব দেহে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার হতে পারে। কোথাও কোথাও এন্টি-ভাইরাল ওষুধ দিয়েও দেখা হচ্ছে সেটি করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে কীনা! ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে যেভাবে হাত ধুতে হবে", "doc2": "Shugaba John Magafuli da wani jagoran adawa a Tanzani suna sabuwar gaisuwa saboda Coronavirus Masana sun gano cewa cutar wadda take shafar numfashi ana saurin daukar ta musamman idan mai dauke da ita ya yi tari ko atishawa a cikin mutane. Kwayoyin cutar kan bi iska su shiga jikin wanda ke kusa da mai dauke da ita, ta ido ko ta hanci ko kuma ta baki. Haka kuma, idan mai dauke da cutar ya taba fuskarsa, kwayoyin cutar na iya bazuwa zuwa tafin hannunsa daga nan kuma idan ya taba wani da hannun don gaisawa ko runguma zai iya ba shi cutar. Idan aka kamu da cutar, a kan yi zazzabi mai zafi da tari da numfashi sama-sama. An koma gaisawa ta hanyar hada kafa da kuma sauran sassan jiki. Ma'aikatan lafiya da hukumomin lafiya a fadin duniya sun yi gargadi kan yadda za a kare kai daga kamuwa da cutar ciki har da: rage taruwa a wuri guda, rage taba fuska, yin musabaha ko rungumar juna. Wannan ya sa mutane a fadin duniya, musamman inda cutar ta bulla suka dauki wasu matakan kare kansu daga kamuwa da cutar. Har kasashen da cutar Coronavirus ba ta bulla ba ma sun dauki matakan kariya. Misali a Saudiya, kafin cutar ta bulla, gwamnatin kasar ta fitar da sanarwar hana baki shiga don yin aikin Umara duk don kada a samu bullarta a ciki. A kasashe da dama, mutane na sa irin wannan abin don rufe hancinsu da bakinsu A kasashen da cutar ta bulla, mutane na sa abin rufe fuska don kare hancinsu da bakinsu, sannan wasu na sa safar hannu. A wasu wuraren kuwa, dokar hana fita aka sa, misali a wasu sassan Italiya da aka samu yaduwar cutar. Yin musabaha da rungumar juna na cikin manyan hanyoyin gaisawa a tsakanin al'umma. Amma bullar cutar voronavirus ta sauya hakan, kuma ta ba da damar kirkiro sabbin hanyoyin gaisuwa da ba sai an hada jiki ba. Musabaha da kafa A shafukan sada zumunta, an yi ta yada hotunan bidiyo da ke nuna mutane suna gaisawa ta hanyar hada kafa a madadin hada hannuwa kamar yadda aka saba. An yi wa wannan salon gaisuwar lakabi da 'Wuhan Handshake' wato musabahar Wuhan, wato garin da cutar ta samo asali. Daga baya, shugabannin duniya kamar John Magafuli na Tanzania sun dauki wannan salon gaisawar duk da cutar ba ta bulla a kasar ba. A wani hoton bidiyo ministan harkokin cikin gidan Jamus ya ki yin musabaha da Shugabar Gwamnatin Jamus Angela Merkel a lokacin wani taro bayan ta mika masa hannu. Gaisuwa da gwiwar hannu Wani sabon salon gaisuwar da ya fito shi ne gaisuwa da gwiwar hannu wanda aka yi wa lakabi da 'Elbow bump'. Ma'abota shafukan sada zumunta da dama musamman a shafin Twitter sun wallafa sakonni da maudu'in #elbowbump. Wannan salon gaisuwar dai ya fi yawa a Amurka. Wasu na ganin wannan ita ce hanya mafi a'ala da za a gaisa salin-alin ba tare da an yada cutar Coronavirus ba. Gaisuwar 'Namaste' Hada tafukan hannuwa wuri daya sannan a sa su a gaban kirji, kamar yadda 'yan kasar Indiya ke yi, wata hanya ce da mutane ke ta amfani da ita wajen gaisawa. Mabiya addinin Hindu na amfani da wannan hanya wajen nuna girmamawa ko gaisuwa. Tun bullar cutar Coronavirus, wasu wadanda ba mabiyan addinin Hindu ba ne, sun dauki wannan salon wajen gaisawa don kauracewa yin musabaha. Jaridar Times of Israel ta ruwaito Firayim minista Benjamin Netanyahu yana ba 'yan kasarsa shawarar amfani da gaisuwar 'namaste' don kare kai daga kamuwa da Coronavirus. Benjamin Netanyahu yana gaisawa da ministan lafiya na Isra'ila da salon gaisuwa na 'Namaste' Wata jakadiyar Isra'ila a Indiya, Maya Kadosh ta wallafa sako a shafinta na Twitter inda ta ce tana godiya ga Indiya da ta samar da wannan salon gaisuwa, kuma daga yau 'yan Isra'ila sun samu salon gaisuwa. Bullar cutar ta sa fargaba a zukatun mutane tun da har ta kai ana gudun gamuwa da juna ko taba juna kuma gwamnatoci da hukumomi sun soke manyan taruka masu muhimmanci saboda gudun yaduwar cutar. Kasashe kamar Faransa da Japan sun soke duk wasu taruka da mutane fiye da 5000 za su taru a wuri guda, sai dai har yanzu babu wani bayani kan gasar wasanni ta Olympics da za a yi a Tokyo da za a fara a cikin wata Yulin bana. A Burtaniya, hukumomi sun umarci asibitoci da su duba marasa lafiya ta hanyar kiran waya na bidiyo don rage barazanar yaduwar cutar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49716518", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49722118", "doc1": "হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে সৌদি সমর্থনপুষ্ট ইয়েমেনি বাহিনী সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনার ওপর নাটকীয় হামলার পর তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সৌদি আরবের এই তেলস্থাপনাগুলো গোটা বিশ্বের তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে খু্বই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো যে কতটা নাজুক অবস্থায় আছে, এই হামলা সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরব, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের মদত আছে। সৌদি আরবের এসব বিমান সরবরাহ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বহু দিন ধরে সৌদি আরব হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিপক্ষও যে পাল্টা হামলার ক্ষমতা রাখে, সৌদি তেল স্থাপনার ওপর এই আঘাত তারই প্রমাণ। তবে এই ঘটনা সেই পুরোনো বিতর্ককে আবার উস্কে দিয়েছে- হুথি বিদ্রোহীদের ইরান কী পরিমাণ সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল। সেখানে এই সর্বশেষ ঘটনা যেন পুরো অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। কিন্তু এই হামলা একই সঙ্গে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং কৌশলের ব্যর্থতাও ফুটিয়ে তুলেছে। সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে নানা দাবি এবং পাল্টা দাবির মধ্যে অনেক তথ্য এখনো অজানা। হামলার পর জ্বলছে সৌদি তেল স্থাপনা হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিভিন্ন টার্গেটে আগেও ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ড্রোন হামলা থেকে তারা খুব সীমিত সাফল্যই পেয়েছে। তবে এবারের যে হামলা সেটা এমন মাত্রার যে তার সঙ্গে আগেরগুলোর কোন তুলনাই চলে না। বহুদূর থেকে যেরকম ব্যাপক মাত্রায় যে ধরণের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে, তার নজির নেই। মিসাইল না ড্রোন এই হামলার ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। হামলায় কি 'আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল' (ইউএভি) ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি নতুন কোন ধরণের মিসাইল। যদি মিসাইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন তার সংকেত পেল না? আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে হামলার পেছনে ইরাকের কোন ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ছিল, নাকি স্বয়ং ইরানই জড়িত? মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কিন্তু কোন সময় নষ্ট না করে সরাসরি তেহরানের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এই ঘটনার জন্য। ঘটনার ব্যাপারে কোন গোয়েন্দা তথ্যের জন্য পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেননি। কয়েকঘন্টা পর অবশ্য মার্কিন সূত্রগুলো দাবি করতে থাকে মোট ১৭টি স্থানে এই ড্রোন হামলা হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব হামলা হয়েছে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। যুক্তরাষ্ট্র বলতে চাইছে এই হামলা হয়েছে ইরান বা ইরাকের দিক থেকে, দক্ষিণের ইয়েমেন থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা এই হামলা ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে। হামলায় ব্যবহৃত যেসব ড্রোন টার্গেট পর্যন্ত যেতে পারেনি, সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেসব সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা হয়েছে কোন দিক থেকে হামলা ২০০৮ সালে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, হুথি বিদ্রোহীদের কাসেফ-ওয়ান ড্রোনের সঙ্গে ইরানের আবাবিল-টি ড্রোনের ব্যাপক সাদৃশ্য আছে। জাতিসংঘের দলটি তাদের রিপোর্টে বলেছিল, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, ইরান সেটি ভঙ্গ করেছে এবং হুথি বিদ্রোহীদের নানা রকম অস্ত্র সরবরাহ করেছে। কাসেফ-ওয়ান কিংবা আবাবিল-টি ড্রোন বড়জোর ১০০ বা ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে খুরাইস তেল ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার। যেসব টার্গেটে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এই তেলক্ষেত্রই ইয়েমেনের সবচেয়ে কাছে। ইরানি সামরিক সরঞ্জাম কতটা পাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা কাজেই ইয়েমেনের দিক থেকে যদি এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে এবারের ড্রোনগুলো নিশ্চিতভাবেই একেবারে ভিন্ন ডিজাইনের, যেগুলো অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে এবং অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ইরান এবং সম্ভবত হুথি বিদ্রোহীদেরও হয়তো আরও দূরপাল্লার ড্রোন আছে। কিন্তু এপর্যন্ত ইয়েমেনের যুদ্ধে সেধরণের ড্রোনের ব্যবহার দেখা যায়নি। আরেকটা জল্পনা হচ্ছে, হামলায় হয়তো ক্রুজ মিসাইলও ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। হয়তো ইরাক বা ইরান থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু এই দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের দরকার হবে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা কিন্তু শেষ বিচারে এসব খুঁটি-নাটি তথ্যের কোন মানে দাঁড়ায় না। কারণ কূটনৈতিক ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব ইরানের নির্মম শত্রু। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে। পারস্য উপসাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার জন্য তারা ইরানকেই দোষী করছে। সৌদি বিমান হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে অসন্তোষ বাড়ছে ইরান তাদের একটি তেলবাহী জাহাজ জিব্রালটারে আটক হওয়ার পর পাল্টা একটি ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার বিরুদ্ধে হুথি বিদ্রোহীদের যত হামলা, তার সবকটিতে ইরানের হাতের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী করবে বা কী করার ক্ষমতা রাখে? এর উত্তর হচ্ছে, সম্ভবত খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই। আরও পড়ুন: সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: ইরানকে দায়ী করলো যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই শক্তভাবে সৌদি আরবের পক্ষে। কিন্তু এই যুদ্ধের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে অতটা উৎসাহ নেই। কংগ্রেসে এমন মত প্রবল হচ্ছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এই সৌদি বিমান হামলার কোন মানে নেই। একটা গরীব দেশের ওপর এই হামলা এক বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প প্রশাসন যদিও সৌদি আরবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন জোগাচ্ছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কথা বলছে, বাস্তবে তেহরানের কাছে তারা কিন্তু নানা ধরণের বার্তা দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি যুদ্ধের ঝুঁকি নেবেন? একদিকে মনে হচ্ছে মি. ট্রাম্প যেন ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটা মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান। তিনি মাত্রই তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করেছেন। জন বোল্টন হচ্ছেন সেরকম একজন কট্টরপন্থী, যিনি কিনা যে কোন পন্থায় ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের পক্ষে। ইরান এবং হুথি বিদ্রোহীরা যুদ্ধে যে ধরণের কৌশল নিয়েছে, সেটা শক্তিমানের বিরুদ্ধে দুর্বলের লড়াইয়ের চিরাচরিত কৌশল। বেশিরভাগ কৌশল যেন রুশদের কাছ থেকে ধার করা- যে কোন কিছু অস্বীকার করা, ছায়াযুদ্ধ, সাইবার হামলা এবং প্রপাগান্ডা যুদ্ধ। তেহরান ভালো করেই জানে, মিস্টার ট্রাম্প মুখে যত কথাই বলুন, আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন কোন যুদ্ধে জড়াতে চান না, বরং যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে চান। এর ফলে ইরানই বরং এখন পাল্টা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু যে কোন মূহুর্তে যে কারও একটা ভূল হিসেবের কারণে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে, যেটা আসলে কেউই চায় না।", "doc2": "Hare-haren rundunar hadin gwiwar da Saudiyya ke jagoranta kan 'yan tawayen Houthi a Yemen Musayar yawu da aka yi hasashe ta biyo bayan harin da aka kai wa matatar mai mafi muhimmanci ta kasar Saudiyya. Hare-haren sun nuna irin gagarumin hadarin da ke fuskantar matatun man, masu matukar muhimmanci ga tattalin arzikin duniya. Kasar Saudiyya - wacce ke da goyon bayan Amurka, wadda kuma sojojin haya na Yammacin Duniya ke tuka jiragen yakinta - ta dade tana kai hare-haren sama a kan 'yan tawayen Houthi. Amma yanzu 'yan tawayen sun nuna cewa su ma za su iya mayar da martani da kansu. Babu shakka hare-haren na 'yan Houthin sun sake jawo da ce-ce-ku-ce game da irin taimako da tallafin fasahar da Iran ke ba wa 'yan tawayen. Hare-haren sun kuma kara kawo fargaba a yankin na tekun Fasha da ke fama da zaman dar-dar. Hare-haren sun kuma fito da gazawar gwamnatin Trump na Amurka a fili, wajen aiwatar da tsarin amfani da matsanancin karfi a kan Tehran. Yayin da ake ci gaba da nuna wa juna yatsa a kan hare-haren, akwai wani abu da ba mu da cikakkiyar masaniya a kai. A baya dai, 'yan tawayen Houthi sun sha amfani da rokoki da jirage marassa matuka wajen kai wa Saudiyya hari. A baya hare-haren jirage marasa matukan ba su da wani tasiri. Sai dai kuma dace da nisan zangon hare-haren 'yan tawayen na baya-bayan nan ya sauya tunani a kan yadda aka dauki lamarin. Tambayar ita ce shin da gaske an yi amfani da jirage marassa matuka a harin, ko kuma dai rokoki ne 'yan tawayen suka harba? Idan har rokoki 'yan tawayen suka harba, to abin tambaya shi shi ne yadda aka yi shingayen rokoki na Saudiyya ba su yi aikinsu ba? Shin daga yankunan da ke hannun 'yan Houthin aka harba makaman, ko daga wani wuri? Shin kungiyoyi da ke mara wa Iran baya a kasar Iraqi na da hannu a harin, ko kuma Iran da kanta ce ke da hannu? Tuni dai sakataren harkokin waje na Amurka Mike Pompeo ya zargi Tehran da hannu a harin, amma da alamu ya yi hakan ne kafin samun kwakkwarar sheda daga bayanan sirri, kasancewar bai bayar da wata hujja da za a iya tantancewa ba. Mike Pompeo ya ce Amurka da kawayenta za su tabbata an hukunta Iran Bayan sa'o'i, majiyoyi daga Amurka na cewa an samu wasu hujjoji 17 a kan hare-haren, da ke nuna cewa an harba makaman ne daga arewa ko arewa-maso yamma da Saudiyya. Hakan kuma na nuna cewa daga Iran ko Iraqi aka harbo makaman, ba daga Yemen ba wacce ke kudu da Saudiyya. Amurka ta kuma yi alkawarin ba da karin bayanai a kan hare-haren. Kasar ta kara da cewa tana yin nazari a kan hare-haren wasu rokoki da jirage marasa matuka da suka kasa isa inda aka harba su. Iran na da kyakkyawar alaka da 'yan Houthi. Ana kuma kyautata zaton kasar ta taimaka masu wurin mallakan makamai masu cin dogon zango, ta hanyar amfani da jirage marasa matuka ko rokoki. A shekarar 2018, rahoton wani kwararre a Majalisar Dinkin Duniya ya ce akwai kamanceceniya sosai tsakanin jirgi maras matuki mai suna Qasef-1 na 'yan Houthi da Ababil-T na kasar Iran. Binciken ya zargi Iran da karya takunkumin samar da makamai a Yemen, inda ta bai wa 'yan Houthi dabaru da kayan yaki. A shekarar 2017 ma an gano hakan, bayan nazarin da hukumar da ke bincike kan samar da makamai a rikice-rikice mai zaman kanta ta gudanar, wanda ya mayar da hankali a kan taimakon jirage marasa matuka da Iran ke bayarwa. Sai dai kuma zangon da Qasef-1/Ababil-T ke ci bai wuce kilomita 100-150 ba. Amma tazarar da ke tsakanin kan iyakar Yemen da filin hakar mai mafi kusa da ita a Saudiyya Kilomita 770 ne. Saboda haka idan har da jirage marasa matuka aka kai hare-haren, to akwai yiwuwar an sabunta kirarsu, kuma an kara masu nisan zango da nagarta. Yanzu akwai yiwuwar su ma 'ya Houthi sun mallaki makamai masu cin dogon zango kamar Iran, amma babu isassun hujjoji da ke tabbatar da cewa an yi amfani da makaman a rikicin Yemen. Akwai kuma yiwuwar cewa rokoki ne aka harbo daga Iraqi ko Iran, amma cikakkiyar amsar wadannan tambayoyi na bukatar kwararan hujjoji da aka tattaro daga bayanan sirri. Duk da cewa ba sai an yi bayani filla-filla ba, amma an riga an samu matsala a dangantakar diflomasiyya. Amurka da Saudiyya na takun saka da Iran. Kuma gwamnatin Trump ta riga ta cimma matsaya, inda ta zargi Iran da kwace jiragen ruwan wasu kasashe a yankin Gulf. Iran ta fito fili ta kwace wani jirgin dakon mai mallakin Burtaniya, bayan ita ma an tsare mata jirgin manta a gabar Gibraltar. Gwamnatin Trump na ganin cewa alamu sun riga sun bayyana cewa Iran ta taimaka wa 'yan Houthi a kai hare-haren da suka kai wa matatutn man Saudiyya. Saudiyya na kokarin ganin ta ci gaba da hakowa da kuma tace mai bayan hare-haren da aka kai mata Abin tambaya yanzu shi ne me za su yi, ko kuma me za su iya yi a kai? Amsar na iya zama: ba wani abin a zo a gani. Amurka na goyon bayan Saudiyya, duk da cewa ana samun karuwar adawa da rikicin na Yemen a Capitol Hill, fadar gwamnatin kasar, inda ake ganin rashin amfanin hare-haren saman da Saudiyya ke jagoranta, wanda ke kara jefa Yemen din da ke fama da talauci, kara neman agaji. Akwai kuma wadansu abin damuwa da hare-haren kwanan nan suka kawo. Duk da goyon bayan da gwamnatin Trump ke wa Saudiyya da kuma barazanar amfani da karfin tuwo, a zahiri babu abin da ke nuna cewa barazanar da Amurkan ke wa Tehran din kaifi daya ne. Hoton tauraron dan'adam da ke nuna hayakin da ya turnike daga harin da aka kai wa matatar mai a Saudiyya Da alamu Trump na son ya ci gaba da ganawa da Iran kafin taron babban zauren Majalisar Dinkin Duniya da ke tafe. Kwanan nan, Trump din ya sallami mai ba shi shawara kan harkokin tsaro, Mike Bolton, wanda ke kan gaba wajen neman kawo sauyin gwamnati a Tehran. Iran da kawayenta 'yan Houthi na amfani da dabarar mai rauni wurin yakar mai karfi, ta hanyar musanta zargi da kuma amfani da sojojin haya ko ba da bayanai ko ta shafukan intanet. Tehran na sane da kurin Trump da wuyar sha'aninsa, don haka take neman jefa Amurka a cikin wasu sabbin sarkakiyar yunkurin amfani da karfin soji. Hakan zai bai wa Iran damar ita ma ta yi amfani da karfin da ya wuce misali. Hadarin shi ne idan aka yi rashin dace, bangarorin na iya shiga yaki, wanda ba a fatan hakan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54480922", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-54482086", "doc1": "ট্রাম্প প্রশাসন সুদানের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। আঠারো মাস ধরে এক অহিংস আন্দোলন করে সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর দেশটির গণতান্ত্রিক আকাঙ্খা তখন সুতার ওপর ঝুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাতায় সুদানের নাম তখনো সন্ত্রাসবাদে রাষ্ট্রীয় মদত দেয় এমন দেশগুলোর তালিকায়। কিন্তু যদি সুদান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এই তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দেয়া হবে। এর ফলে সুদানের জন্য অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার অনেক পথ খুলে যাবে। সুদানের এই কাহিনী অনেক জটিল, এর পেছনে আছে ৩০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস। সুদানে যখন ইসলামপন্থী সরকার ক্ষমতায় এলো, তখন থেকে। উনিশশো উননব্বই সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। ক্ষমতায় এসেই তিনি খার্তুমকে পরিণত হরেন বিশ্বের জঙ্গি জিহাদি মতাদর্শের একটি কেন্দ্রে। আল-কায়েদা এবং অন্যান্য চরমপন্থী গোষ্ঠী সুদানে গিয়ে ঘাঁটি গাড়ে। তারা যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মিশর, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, কেনিয়া এবং অন্যান্য জায়গায় হামলা চালায়। তারপর ১৯৯৩ সালে যখন নিউ ইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলা চলে, তারপর যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় মদতদাতা বলে চিহ্ণিত করে। সিআইএ-র সহযোগিতা সুদানের বিরুদ্ধে জারি হয় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবেশী দেশগুলো সুদানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়। এর ফলে চাপ তৈরি হয় সুদানের ওপর। তখন তারা বাধ্য হয়ে তিন বছর পর ওসামা বিন লাদেন এবং অন্যান্য জিহাদিদের বহিস্কার করে। দু'হাজার এক সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর সুদানের নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ-র কাছে খুবই মূল্যবান হয়ে উঠে, তাদের মধ্যে সহযোগিতা শুরু হয়। এই সহযোগিতার বিনিময়ে সুদানের নাম সন্ত্রাসবাদে মদত যোগানো দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ার কথা। সুদান গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করার পরও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা তখনো নানা কারণে খার্তুমের ওপর ক্ষিপ্ত। এর একটা কারণ তখনো সুদান সরকার দার্ফুরে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে সেটি। সেখানে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছিল। কাজেই সুদানের নাম এই তালিকায় থেকেই গেলো। ওমর আল-বশিরের সরকার তখনো তলে তলে অনেক কিছু করছে: তারা ইরান এবং হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান অন্তত দু'বার সুদানের লোহিত সাগর উপকূলে গাড়ি বহরের ওপর হামলা করেছিল। এসব গাড়ি বহরে করে নাকি হামাসের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ২০১৬ সালে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাপে ওমর আল-বশির বাধ্য হলেন ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ ঘটাতে। কিন্তু সুদানে গত বছরের গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পরও যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান বদলাতে দেরি করছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা চাপ প্রয়োগের জন্য তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়গুলো বহাল রাখতে চাইছিলেন। তারা একই সঙ্গে মনে করছিলেন, নতুন গণতান্ত্রিক শাসন বেশিদিন টিকবে না। সেনেটররা আটকে দিলেন কিন্তু সুদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখলে সেটাতে বরং উল্টো ফল হতে পারে। কারণ এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই বরং দেশটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। যতদিন সুদানের নাম কালো তালিকায় থাকবে, ততদিন দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এর ফলে সুদান অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে থাকবে। সুদানের বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের হাত-পাও যেন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাঁধা পড়ে আছে। বিদেশি বিনিয়োগ আটকে আছে। সুদানের ৭,০২০ কোটি ডলারের যে বিপুল ঋণের বোঝা, যেটি দিনে দিনে আরও বাড়ছে, সেটা থেকে উদ্ধার করতে আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংকেরও কিছু করার নেই। সুদানে ক্ষুধার সমস্যাও আঁতকে উঠার মতো: জাতিসংঘের হিসেবে দেশটির ৯৬ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে আছে। এরপর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেল। সুদানে বন্যা হলো। পরিস্থিতি যেন আরও খারাপের দিকে মোড় নিল। গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে হয় ওমর আল-বশিরকে এরকম একটি সংকট কেবল খাদ্য বিতরণ করে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার ব্যাপক আকারে অর্থনৈতিক সহায়তা। আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানের নাম সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য একটা সমঝোতার চেষ্টা চলছিল মার্কিন কংগ্রেসে। এই প্রচেষ্টাটি আটকে ছিল পূর্ব আফ্রিকা এবং ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলার শিকার হওয়া মানুষদের পরিবারের আপত্তির কারণে। তারা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছিলেন। সুদান ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজী হলো। কিন্তু সেপ্টেম্বরে দুজন ডেমোক্রেটিক সেনেটর, চাক শুমার এবং বব মেনেনডেজ এই উদ্যোগ আটকে দিলেন। কারণ তারা চাইছিলেন, নাইন-ইলেভেনের ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলো যাতে মামলা করতে পারে, সেরকম একটা সুযোগ খোলা রাখা। তখন ট্রাম্প প্রশাসন সুদানকে এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি প্রস্তাব দিল। অগাস্টের শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও খার্তুম সফর করলেন। তিনি সুদানের বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে একটি প্রস্তাব দিলেন: সুদান যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়, তখন কংগ্রেসে এই সমঝোতার পথে যেসব বাধা, সেগুলো অপসারণের চেষ্টা করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সুদান আরব লীগের সদস্য। যদি তারাও একই সিদ্ধান্ত নেয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর তারা হবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া ৪র্থ আরব রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে যদি এটা ঘটে, তা হবে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য এক বিরাট অর্জন। ট্রাম্প প্রশাসন আরবদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া হলে সেটি হবে সুদানের জন্য এক বিরাট এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ বছরের বন্যা সুদানের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সংকটজনক করে তুলেছে জেনারেলদের জন্য ভালো চুক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে এরকম সমঝোতার ঘোরতর বিরোধী হচ্ছে ইসলামপন্থীরা। কিন্তু তারা এখন ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু শুধু ইসলামপন্থীদের কাছে নয়, সুদানের রাজনীতিতে সবপক্ষের কাছেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। বেসামরিক রাজনৈতিক জোটে অন্তর্ভুক্ত অনেক দলই মনে করে, যে কোন কিছুর আগে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হামদক জানেন যে, যদি তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেন, তার বেসামরিক জোটে ফাটল ধরবে। সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বললেন, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। এই নির্বাচন হওয়ার কথা তিন বছরের মধ্যে। যদিও মি. হামদক এবং তার বেসামরিক সরকারই দেশ চালাচ্ছেন, সুদানের প্রকৃত ক্ষমতা এখনো আসলে জেনারেলদের হাতেই। সুদানে যে 'ট্রানজিশনাল কাউন্সিল' বা অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ আছে, তার প্রধান হচ্ছেন লে. জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার ডেপুটি হচ্ছেন লে. জেনারেল মোহাম্মদ হামদান ডাগুলো, যিনি মানুষের কাছে হেমেটি নামে পরিচিত। তাদের দুজনের অধীনেই সুদানের সেনাবাহিনী। সরকারের আর্থিক নিয়ন্ত্রণও আসলে তাদের হাতে। এই অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের পেছনে আছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের সমর্থন। ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব কথাবার্তা চলছে, সেগুলো কিন্তু মূলত এই জেনারেলদের সঙ্গেই হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জেনারেল বুরহান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি এই কাজটা করেছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী হামদককে না জানিয়েই। এই দুজনের মধ্যে আবার শীগগীরই দেখা হওয়ার কথা। জেনারেল বুরহান এবং জেনারেল হেমেটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগকে তাদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। এই জেনারেলরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আকাঙ্খা পোষণ করেন, কিন্তু তারা সেটা চান গণতন্ত্রের ঝামেলায় না গিয়ে। যদি ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারেন, তারা মনে করছেন, এটি সম্ভব। আর এজন্যেই সুদানের গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারীরা দাবি তুলেছেন, এরকম যে কোন সমঝোতা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গত বছর যখন প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যূত হন, তখন সামনে এসে দায়িত্ব নেন জেনারেল বুরহান এবং জেনারেল হেমেটি। দু'মাস পর তাদের বাহিনী প্রায় একশো বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করে। এটি তখন ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় এই দুই জেনারেল একটি বেসামরিক মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজী হন। 'পৃথক ইস্যু' মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত আগস্ট মাসে সুদানের প্রধানমন্ত্রী হামদকরে সঙ্গে আলোচনা করতে যান মোদ্দা কথা হচ্ছে, সুদানের জেনারেলরা এই বেসামরিক প্রশাসনকে সহ্য করছে কেবল এই কারণে যে, তাদের একটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার। অপরদিকে এই জেনারেলরা যে নৃশংসতা এবং নীতিহীন আচরণ দেখিয়েছেন, সেজন্য সুদানের সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষমা করেনি। তবে সুদানের আগের প্রজন্মের মানুষের মনে আছে 'অপারেশেন মোজেস' নামের এক অভিযানের কথা। ১৯৮৪ সালে সুদানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেরি এবং ইসরায়েলের মধ্যে এক গোপন চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির অধীনে সুদানে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ইথিওপিয়ান ইহুদীদের বিমানে করে তুলে নিয়ে যেতে পেরেছিল ইসরায়েল। এরপর অভিযোগ উঠেছিল, জাফর নিমেরি আসলে ইসরায়েলি গুপ্ত সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে লাখ লাখ ডলার ঘুষ নিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন। সুদানে ওমর আল-বশিরের আমলে আমলা এবং ব্যবসায়ীদের যে আঁতাত গড়ে উঠেছিল, তারাই বিরাট বিরাট ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। এসব ব্যবসায়িক আঁতাত দিনে দিনে আরও জোরালো হচ্ছে। সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ায় কর্মীদের বেতন দিতে পারে না, তখন তারা এই জেনারেলদের কাছেই হাত পাতে। যদি এখন এই আমলা-ব্যবসায়ী আঁতাতকে আরও আশকারা দেয়া হয়, সুদানে এই জনগণের সম্পদ লুঠ করা দুর্নীতিতন্ত্রই বহাল থাকবে। তবে আরেকটি আরব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ইসরায়েলিদের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় পুরস্কার। কিন্তু যে তরুণ ইসরায়েলি এবং মার্কিনীরা ১৫ বছর আগে দার্ফুরে সুদানের নৃশংসতার প্রতিবাদ করেছিল, তাদের কাছে নয়। যে জেনারেলরা এসব মিলিশিয়া বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল, সেই নৃশংসতার জন্য দায়ী, তাদেরকে বৈধতা দেয়াকে এরা একটি ভুল নৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করে। তবে মি. হামদকের অবস্থান বেশ যৌক্তিক। সুদানের নাম সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেয়া এবং ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া - এই দুটি ইস্যু একেবারেই আলাদা। তিনি বলছেন, সুদানকে এখনই সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ সুদান তার দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের অপসারণ করেছে। কারণ সুদানের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। আর ইসরায়েল যদি একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক আরব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়, সেটাই হবে ইসরায়েলের জন্য সত্যিকারের পুরস্কার। অ্যালেক্স ডি ওয়াল হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের টাফট্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লেচার স্কুল অব ল এন্ড ডিপ্লোমেসির ওয়ার্ল্ড পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:‍", "doc2": "Fatan al'ummar kasar ya dogara ne da zanga-zangar watanni 18 da aka yi da ta kai ga kawo karshen mulkin shugaban da ya fi dadewa a kan mulkin kasar Omar al-Bashir Amma idan Sudan ta yarda da Isra'ila, Amurka za ta cire ta daga cikin jerin kasashen da ke tallafa wa 'yan ta'adda, tare da bude kofar saita tattalin arzikin kasar. Labarin na da sarkakiya wanda ya samo asali shekaru 30 baya tun farkon kafuwar gwamnatin musuluncin kasar. Bayan kwace mulki ta hanyar juyin mulki a 1989, Shugaba al-Bashir ya mayar da Khartoum cibiyar masu da'awar jihadi ta duniya. Al Qaeda da sauran kungiyoyi irinta sun mayar da Sudan wani sansani na kaddamar da hare-hare kan Amurka da Saudiyya da Masar da Habasha da Uganda da Kenya da sauran wurare. Bayan harin farko da aka kai cibiyar hada-hadar kasuwanci ta duniya a New York a 1993, Amurka ta saka sunan Sudan cikin jerin kasashe da ke daukar nauyin ta'addanci. Hadin gwiwar CIA Takunkumin kasashen duniya na kudi da matsin lambar soji daga kasashe makwabta da suke goyon bayan 'yan tawayen Sudan ya tursasa wa Sudan korar Osama bin Laden da wasu mayakan jihadi daga kasar. Bayan harin 11 ga Satumban 2001, jami'an leken asirin Sudan suka zama abokan huldar hukumar leken asirin Amurka ta (CIA). Kan wannan, ya kamata a cire Sudan daga cikin jerin kasashen da ke taimakawa ta'addanci. Duk da murnar da aka rika yi sanadin komawar Sudan turbar dimokradiyya, Amurka ta ki cire mata takunkumi Amma mambobin majalisar sun nuna kiyayya ga Khartoum saboda wasu dalilai masu yawa, ciki har da yakin Darfur da take hakkin dan adam, kuma jerin sunayen ya ci gaba. Amma gwamnatin al-Bashir ta ci gaba da aikinta a sirance, inda ta ci gaba da alakarta da Iran da Hamas, kuma akalla sau biyu jiragen yakin Isra'ila sun kai wa wata tawaga hari da ke tafiya a ruwan Sudan, da ake zargin makamai ne za a kai wa Hamas A 2016, saboda matsin lamba daga Saudiyya da Hadaddiyar Daular Larabawa, gwamnatin Bashir ta katse huldarta da Iran. Amma duk da juyin juya halin da aka yi a bara, Amurka ta ki sauyawa. Jami'an harkokin wajen Amurka suna son su yi tanadin babbar damar da suke da ita, domin suna tunanin sabuwar gwamnatin ba za ta dore ba. Ƴan majalisar dattawa sun hana cire sunan Sudan Matsalar ita ce ci gaba da sanya takunkumin a Sudan na iya zama wani abin da ƙasar ke tunani na la'antarta ga gazawa. Idan har Sudan ta ci gaba da zama cikin jerin sunayen, takunkuman suka ci gaba da gurgunta kasuwancin kasar, zuba hannayen jarin kasashe ya tabu kuma asusun lamuni na duniya da Bankin Duniya ba za su iya samar da hurumin tallafa wa kasar ba daga dimbin bashin da ake bin ta - $72bn wanda ke ci gaba da karuwa. Mutum fiye da 860,000 suka yi fama da ambaliyar ruwar da ba a taba ganin irin ta ba a Sudan Girman matsalar yunwa abin tsoro ne: Majalisar Dinkin Duniya ta ce mutum miliyan 9.6 na fuskantar barazanar yunwa. Wannan kuma ya kara tsananta saboda kullen annobar korona da kuma ambaliyar ruwa. A watannin baya, yarjejeniyar cire kasar daga jerin sunayen 'yan ta'adda a hankali ya samu shiga majalisar dattijan Amurka, daga bukatu na ƴan uwan wadanda hare-haren al Qaeda suka kashe a gabashin Afirka da Yemen cewa sai an biya diyya. Sudan ta amince ta biya dala miliyan 335. Amma a Satumba sanatocin jam'iyyar Demokurat - Chuck Schumer da Bob Menende sun toshe damar. Gwamnatin Trump yanzu ta yi wa Sudan tayin mafita. Sakataren Wajen Amurka Mike Pompeo ya je Khartoum a watan Agusta domin kulla yarjejeniya da Firaiministan Sudan PM Hamdok Ziyarar da ya kai Khartoum a karshen Agusta, Sakataren harakokin wajen Amurka Mike Pompeo ya gabatar da wata bukata ga Firaministan Sudan Abdalla Hamdok: Idan har Sudan ta amince da Isra'ila, Shugaba Trump zai keta tarnakin da aka samu a majalisa. Bayan matakin da Daular Larabawa ta dauka a watan da ya gabata, Sudan mamba a kungiyar kasashen Larabawa, za ta kasance kasar Larabawa ta biyar da za ra dauki irin matakin. Zai kasance babban ci gaba ga alkawalin gwamnatin Trump na farfado da hulda tsakanin kasashen Larabawa da Isra'ila cikin makwanni kafin zabe. Amincewa da Isra'ila babban mataki ne ga Sudan - ita ce babbar manufar. Karfin ikon manyan hafsoshin soji Mista Hamdok ya san cewa kawancensa da gamayyar kungiyoyin fararen hula zai iya wargajewa idan har ya dauki matakin. Ya shaida wa Mista Pompeo cewa ya kamata matakin ya jira har a zabi sabuwar gwamnati a shekaru uku masu zuwa. Duk da cewa Mista Hamdok da majalisar ministocinsa na kan mulki, manyan hafososhin sojin Sudan ne ke da karfin iko. Wanda ya samu goyon bayan Daular Larabawa da Saudiya da Masar, shugaban gwamnatin rikon kwaryar Janar Abdel Fattah al-Burhan da mataimakinsa Janar Mohamed Hamdan Dagolo, wanda aka fi sani da \"Hemeti\", su ke ba sojoji iko da kuma kula da harakokin kudi. Janar Burhan (Dama), wanda yake jagorantar gwamnatin rikon kwarya, na cikin jami'an da ke da karfin iko a Sudan Kuma wadannan hafsoshin sojin ne ke magana da Isra'ila kai-tsaye. Jansr Burhan ya gana da Firaministan Isra'ila Benjamin Netanyahu a Fabrairu - ba tare da sanar da Hamdok ba - kuma za su sake haduwa nan gaba. Ga Janar Burhan da Janar Hemeti, yarjejeniyar Amurka kan Isra'ila ta yi masu alkawalin amincewar kasashen duniya idan ba su kawo cikas ba ga dimokuradiyyar kasar. Wannan ya sa 'yan siyasar Sudan suka bukaci a yi nazari sosai kan yarjejeniyar Lokacin da zanga-zangar da ta yi awon gaba da Bash ir a watan Afrilun bara, Janar Burhan da Janar Hamdok suka haye kan mulki, bayan wata biyu sojojinsu suka kashe masu zanga-zanga sama da da 100 Wannan ya haifar da bore, inda yarjejeniyar da Amurka da Birtaniya da Saudiyya da Daular Larabawa suka amince a raba madafan iko da fararen hula. Babban batu shi ne cewa sojoji sun yi hakuri ne da fararen hula kawai saboda suna son samun girmamawa daga kasashen duniya. Amma al'ummar Sudan ba su yafe wa sojojin ba kan kashe mutanen da suka yi. Tsoffin mutanen Sudan suna tuna yarjejeniyar da ake kira Operation Moses,da aka yi a asirce a 1984 tsakanin tsohon shugaban kasar Jaafar Nimeiri wacce a lokacin ta bai wa Isra'ila damar jigilar yahudawan Habasha daga sansanin 'yan gudun hijira a Sudan. Daga baya an zargi Nimeiri da almundahanar kudi ta miliyoyin daloli daga Mossad, hukumar leken asirin Isra'ila. Alex de Waal shi ne babban daraktan cibiyar tabbatar da zaman lafiya ta duniya a sashen nazarin shari'a da diflomasiya a jami'ar Tufts University da ke Amurka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53210484", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53682348", "doc1": "পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটির বেশি গত বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম যখন 'অজানা' একটি ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন মানুষ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি যে সেই ভাইরাসটি পরের ৬ মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবীকে ওলট পালট করে দেবে। শুরুর দিকে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হওয়া শুরু করে তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কর্তৃপক্ষই সংক্রমণটিকে ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বাড়তে থাকে, তখন পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশ বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানা যাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো পর্যন্ত টাইমলাইন সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর উহান মিউনিসিপাল কমিশন হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টার শনাক্ত করার কথা জানায়। নতুন এক ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ৪ঠা জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইটে উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টারের তথ্য প্রকাশ করে। ৫ই জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভাইরাসের মাধ্যমে একটি রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকা সংক্রান্ত কিছু উপদেশ লিপিবদ্ধ করা হয়। ১২ই জানুয়ারি চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করে। ১৩ই জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর জানা যায় থাইল্যান্ডে। ২২শে জানুয়ারি ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় - এই তথ্য প্রথমবার নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। ২৩শে জানুয়ারি ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহানকে চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ২রা ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। ততদিনে চীনে তিনশো'র বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া রোগের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় কোভিড-১৯। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইউরোপে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে। ৭ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। ১১ই মার্চ করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ই মার্চ ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে একসাথে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করে ফ্রান্স। ২৭শে মার্চ পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। ৩রা এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। ৪ঠা এপ্রিল বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। ১১ই এপ্রিল কোভিড-১৯ এ মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখে। ২৩শে মে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়।", "doc2": "Adadin na ranar Alhamis ya nuna mutum 1,007,395 ne suka kamu da cutar tun da ta bayyana a watan Fabrairun wannan shekarar. Ƙasar Afrika ta kudu ke kan gaba a yawan masu cutar a nahiyar da mutum 538,184. Sai ƙasar Masar da ke da mutum 95,006, inda Najeriya ke mataki na uku da mutum 44,890. Jadawalin ya kuma nuna Ghana na da mutum 39,642, sai Aljeriya mai mutum 33,626, sai kuma Moroko mai 29,644. Ma'aikatan kiwon lafiya sanye da kayan kariya daga cututtuka Mutum na farko da ya fara kamuwa da cutar a nahiyar Afrika ya fito ne daga Masar, inda aka tabbatar da hakan tun a ranar 14 ga watan Fabrairun 2020 Tun bayan ɓullar cutar a nahiyar, ƙididdiga a ranar ta Alhamis ta nuna cewa cutar ta kashe sama da mutum 22,059 a nahiyar, haka kuma mutum 690,011 suka warke bayan sun kamu da cutar a baya. Ƙididdigar ta kuma tabbatar da cewa mutum 22,062 ne suka mutu sakamakon cutar a faɗin nahiyar ta Afrika Yadda lamarin yake a wasu sassan duniya Ƙasashe ƙalilan ne annobar korona ba ta leƙa ba, kuma da alama ta fi yin ta'adi a wasu ƙasashen kawo yanzu. A halin da ake ciki, Amurka ce ke kan gaba wajen yawan masu fama da cutar, inda mutum 4,876,790 suka kamu, sai Brazil mai mutum 2,912,212. Alƙaluman da hukumomin Indiya suka fitar na cewa fiye da mutum miliyan biyu ne suka kamu da cutar. Ƙasar ta sami wannan tashin goron zabin daga mutum miliyan daya zuwa miliyan biyu ne cikin kwana 20 kacal. Cikin awa 24 da suka gabata, Indiyawa 62,170 ne suka kamu da cutar, wanda ya sa adadin masu fama da Covid-19 kai wa 2,025,409. A nahiyar Turai kuwa ƙasashen Rasha da Sifaniya da Birtaniya da kuma Italiya ne ke kan gaba wajen yawan waɗanda suka kamu da cutar. Rasha na da mutum 870,187, Sifaniya na da mutum 309,855, inda ƴan Birtaniya 309,784 ne suka harbu. Daga nahiya zuwa nahiya... Idan aka kwatanta yadda lamarin ya kasance tsakanin nahiyoyi kuwa, ko shakka babu nahiyar arewacin Amurka ce ke kan gaba: Ƙasashen da suka fi gudanar da gwaje-gwajen masu cutar korona Hukumar Lafiya ta Duniya ta sha bayyana cewa yin gwaje-gwaje ita ce hanya mafi dacewa wajen gano masu cutar cikin al'umma. Zuwa ranar 5 ga watan Agusta, China ta gwada ƴan ƙasarta fiye da miliyan 90. Amurka ce ƙasar da ke bi ma China. Ta gwada fiye da mutum miliyan 61 da rabi. Rasha ce ta uku da mutum fiye da miliyan 29, Indiya kuma ta gwada fiye da mutum miliyan 21 kawo yanzu. Birtaniya ta gwada fiye da mutum miliyan 16, Brazil kuwa na da mutum kusan miliyan 13 da rabi da ta gwada. Wata cibiyar gwajin masu ɗauke da Covid-19 Sauran kasashen da ke ƙoƙarin gwaje-gwaje: Jamus miliyan takwas, Sifaniya miliyan bakwai sai Italiya fiye da mutum miliyan shida. Turkiyya da Canada kuwa na da fiye da mutum miliyan huɗu-huɗu tsakaninsu da suka gwada. Saudiyya da Afirka ta Kudu kuwa sun gwada fiye da mutum miliyan uku-uku. Amma a Najeriya, hukumar da ke yaƙi da cututtuka masu yaɗuwa, NCDC ta ce ta gwada mutum 306,894 ne zuwa ranar Alhamis 6 ga watan Agusta. Ƙasashe biyar da aka fi mutuwa daga cutar korona Ƙasashe biyar da aka fi warkewa daga cutar korona"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56924579", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56917066", "doc1": "সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আল আরাবিয়া টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌদি আরব ইরানের সহযোগিতা চায়। তবে সৌদি যুবরাজ মনে করিয়ে দেন যে ইরানের সাথে তাদের কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে - ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড, মিসাইল পরীক্ষা করা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত অস্ত্রধারীদের সহায়তা করা। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সৌদি আরব তাদের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক মিত্রদের সাথে কাজ করছে। সৌদি যুবরাজের মন্তব্য এমন এক আসলো যখন খবর বেরিয়েছে যে ইরান এবং সৌদি আরবের কর্মকর্তারা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইরাকে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। সৌদি আরবের সূত্রগুলো এ ধরণের খবর অস্বীকার করেছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা স্বীকার কিংবা বাতিল করা হয়নি। ইরান বলেছে, তারা যে কোন ধরণের সংলাপ স্বাগত জানায়। আরো পড়ুন: সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা সৌদি আরব এবং শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য বহু দশক যাবত উত্তেজনা চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে পরষ্পরের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ায় উত্তেজনা আরো বেড়েছে। বিশেষ করে, ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর জোট ইয়েমেনে সরকার-সমর্থিত বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে ২০১৫ সাল থেকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে হুতি বিদ্রোহীদের। তবে বিদ্রোহীদের কোন ধরণের অস্ত্র দেবার কথা অস্বীকার করে ইরান। এছাড়া লেবানন এবং ইরাকে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব। মঙ্গলবার রাতে প্রচারিত হওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের যুবরাজ বলেন, তার দেশ চায় না যে ইরানের সাথে সম্পর্ক জটিল হয়ে যাক। \"সবকিছুর পরেও ইরান আমাদের প্রতিবেশী এবং আমরা তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক চাই,\" বলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। ইরান সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এই মন্তব্য অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সংযত। এর আগে ২০১৮ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে হিটলারের সাথে তুলনা করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। ইয়ামেনের যুদ্ধ সম্পর্কে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোন দেশ চাইবে না যে তার সীমান্তে অস্ত্রধারী মিলিশিয়ারা থাকুক। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আলোচনা টেবিলে বসে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান সৌদি যুবরাজ।", "doc2": "Yarima Mohammed ya ce Saudiyya ba ta son \"batun Iran ya zama mai wahala\" Yariman ya shaida wa kafar talabijin ta Al Arabiya cewa kasarsa na son Iran ta taimaka wajen tabbatar da zaman lafiya a yankin Gabas Ta Tsakiya. Kalaman Yariman na zuwa ne kwanaki bayan wasu rahotanni sun ambato cewa wasu manyan jami'an gwamnatocin kasashen biyu sun tattauna a asirce a kasar Iraƙi, domin su shirya. Majiyoyin Saudiyya sun musanta rahotannin. Amma Ma'aikatar harkokin wajen Iran ba ta tabbatar ba kuma ba ta musanta batun ba, tana mai cewa \"kofar tattaunawarmu a kullum a buɗe take.\" Kasashen biyu da ke gwagwarmayar mamaya da nuna ƙarfin faɗa a ji a Gabas Ta Tsakiya, sun yanke hulɗa a shekarar 2016 lokacin da masu zanga-zangar Iran sun kai hari kan ofishin difilomasiyyar Saudiyya bayan hukuncin da masarautar ta yanke wa wani malamin Shi'a da ake girmamawa. Yariman Saudiyya ya jaddada cewa kasarsa na da matsala da \"halayyar Iran marar kyau\" inda ya yi nuni da shirinta na makaman nukiliya, da ƙaddamar da makamai masu linzami, da kuma taimaka wa \"haramtattaun ƙungiyoyi masu gwagwarmaya da makamai.\" Ya ce Saudiyya na aiki tare da aminanta kasashen yankin gabas ta tsakiya da kuma ƙasashen waje domin gano bakin zaren warware waɗannan matsaloli. Ƙasar Saudiyya, wacce ke ɗaukar kanta a matsayin jagoran ƙasashen Musulmi mabiya Sunni, ta shafe shekaru da dama cikin faɗi tashin ganin ta kasance ita ce uwa a ɗaukacin yankin. Amma, a shekarun bayan nan, gabar da ke tsakaninta da Iran ta ƙara ta'azzara sakamkon yaƙe-yaƙe da ƙungiyoyi masu goyon bayansu ke yi faɗin yankin Gabas Ta Tsakiya. Saudiyya da Iran na goyon bayan ɓangarorin da ke rikici a Yemen A ƙasar Yemen, ƙawancen da Saudiyya ke jagoranta akasarinsu kasashen Larabawa ne mabiya Sunni da ke goyon bayan dakarun gwamnati a yaƙin da suke yi da mayaƙan Houthi da Iran ke mara wa baya tun a shekarar 2015. Kasar Iran ta musanta cewa tana yin fasakwaurin makamai zuwa ga 'yan tawayen na Houthi, da suka durfafi kaddamar da hare-harensu na makamai masu linzami, da kuma jirage marasa matuka a kan biranen kasar ta Saudiyya da wuraren ayyukan hakar man ta. Saudiyya kuma na zargin Iran da yin katsalandan a kasashen Labanon da Iraƙi, inda mayakan sa-kai na Shi'a da ke samun goyon bayan Iran suka yi ƙarfi ta fuskar soja da siyasa ta hanyar kai hare-hare ga jiragen ruwan dakon mai a Tekun Fasha da kuma kai hare-hare ga cibiyoyin man Saudiyya. Saudiyya kuma na adawa da yarjejeniyar 2015 da ta taƙaita shirin nukiliyar Iran, kuma ta goyi bayan shawarar da tsohon shugaban Amurka Donald Trump ya yi na yin watsi da ita da mayar da takunkumin tattalin arziki shekaru uku da suka gabata. Iran, wacce ta rama ta hanyar keta muhimman yarjejeniyar nukiliya, a yanzu haka tana tattaunawa kai tsaye tare da gwamnatin Shugaba Joe Biden kan yadda za a farfaɗo da yarjejeniyar. A cikin hirar da aka yi da shi a kafar talabijin a daren Talata, Yarima Mohammed ya ce Saudiyya ba ta son \"halin da Iran ke ciki ya kasance mai wahala\". \"Daga ƙarshe, Iran makwabciya ce kuma duk abin da muke fata shi ne a samu kyakkawar alaƙa. \"A karshen wannan rana, Iran kasa ce makwabta kuma duk abin da muke fata shi ne a samu kyakkyawar alaka. \"Matsalarmu ita ce \"halayyar Iran marar kyau\" daga shirinta na makaman nukiliya, da goyon bayan da take ba ƙungiyoyi masu makamai da makamanta masu linzame.\" Kalaman na Yarima Mohammed, wanda ake ganin shi ke gudanar da mulkin Saudiyya, sun sha bamban da na shekarun baya. A 2018, ya kwatanta Jagoran Iran, Ayatollah Ali Khamenei, da Adolf Hitler. Da aka tambaye shi game da yaƙin Yemen, wanda ya haifar da abin da Majalisar Dinkin Duniya ta ce shi ne mafi munin rikicin jin-ƙai a duniya,Yariman ya ce babu wata kasa da ke son mayaƙa masu ɗauke da makamai a kan iyakokinta. Ya bukaci ƴan tawayen Houthis, wadanda suka yi watsi da tayin tsagaita buɗa wutar da Saudiyya ta gabatar a watan da ya gabata, da su \"zauna kan teburin tattaunawa\" don nemo hanyoyin da za su \"tabbatar da buƙatun mutanen Yemen da na yankin.\" Yariman ya kuma yi watsi da duk wani bambancin ra'ayi tsakanin ƙasarsa da sabon shugaban Amurka a hirar. Mr Biden da ke neman sake shiga yarjejeniyar Iran ya janye goyon bayan Amurka ga hare-haren da Saudiyya ke jagoranta a Yemen, yana mai sukar lamirin ƴancin ɗan Adam na Saudiyya da rahoton da ya fitar na leƙen asirin Amurka wanda ya tabbatar da hannun Yarima mai jiran gado a kisan da aka yi wa ɗan jaridar Jamal Khashoggi a 2018. Yariman ya musanta cewa yana da hannu. \"Mun fi sama da kashi 90 na yarjejeniya da gwamnatin Biden kan abin da ya shafi buƙatun Saudiyya da Amurka, kuma muna ƙoƙarin ƙarfafa wadannan bukatun,\" in ji Yarima Mohammed. \"Babu kokwanto cewa Amurka ƙawarmu ce.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48850195", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48851246", "doc1": "হামলার পর বন্দী শিবিরটির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন অনেকে। আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলছে, বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার এর নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। আরো পড়তে পারেন: লিবিয়ার সাগরতীরে ভেসে এসেছে ৮৭টি মৃতদেহ খালিফা হাফতারঃ লিবিয়ার নতুন নেতা? কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। যেগুলোর বেশিরভাগই দেশটির সংঘাত-পূর্ণ এলাকাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যার পর থেকেই সংঘাতের কারণে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। হামলা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? জরুরী সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলি জানান, হামলার সময় তাজুরা বন্দী শিবিরে ১২০ জন অভিবাসী একটি হ্যাঙ্গারে অবস্থান করছিলেন। ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলে হামলাস্থল তাজুরায় কাজ করছেন জরুরী সেবা কর্মীরা লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. খালিদ বিন আত্তিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, \"প্রায় সব জায়গায় মানুষ ছিল। শিবিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে সেখানে মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। অনেকেই মানসিক আঘাতে হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগও।\" \"আমরা পুরো এলাকা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার পর যা দেখলাম তা ভয়ংকর ছিল। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। মানুষের শরীরের টুকরোও পড়ে থাকতে দেখেছি,\" তিনি বলেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, হামলা সম্পর্কে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। হামলার জন্য দায়ী কে? জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই \"জঘন্য অপরাধ\" \"পূর্বপরিকল্পিত\" ও \"নিখুঁত\"। তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা। এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে। বন্দী শিবিরের বাইরে জড়ো হওয়া অনেকেই ছিলেন উদ্বিগ্ন লিবিয়ায় যুদ্ধ কেন চলছে? কোন কর্তৃপক্ষই লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। চরমভাবে অস্থিতিশীল দেশটির নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক এবং সামরিক গোষ্ঠীর হাতে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রীর সারাজের নেতৃত্বাধীন এবং অপরটি জেনারেল হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত এপ্রিলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জেনারেল হাফতার। গত চার দশক ধরে লিবিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন জেনারেল হাফতার। ১৯৮০র দশকে মত বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনের আগ পর্যন্ত গাদ্দাফির কাছের মিত্র ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের আন্দোলনের পর দেশে ফিরে পূর্বাঞ্চলে নিজের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলেন তিনি। সমর্থন পান ফ্রান্স, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গাদ্দাফি সংশ্লিষ্টতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ থাকার কারণে তার প্রতি মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে বেনগাজি এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে কথিত ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিতাড়িত করায় অনেকে তাকে কৃতিত্ব দেন। লিবিয়ায় অভিবাসীরা কতটা অসহায়? লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেখানে মানব পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আফ্রিকা অঞ্চলের অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক ইউরোপগামী অভিবাসীদের বন্দী শিবিরগুলোর করুণ দশার চিত্র বারবারই তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।", "doc2": "Jama'a sun taru a wurin da aka kai harin cikin dimuwa Rahotanni sun ce karin wasu 80 sun ji raunuka a harin bam din wanda ya tarwatse, a wata cibiya da ke wata unguwa a gabashin birnin Tripoli. Bayanai sun ce mafi yawan wadanda aka kashe 'yan ci-ranin Afirka da ke hank'oron tsallakawa zuwa Turai, kuma akwai 'yan Najeriya da dama a cikinsu, wadanda ke cike da mafarkin rayuwa mayalwaciya. Kawo yanzu hukumomin Najeriya ba su ce komai game da batun ba, amma a baya sun sha kwashe 'yan kasar da rikici ya rutsa da su a Libya. Tarzoma da rarrabuwar kai sun daidaita Libya tun bayan hambaraswa da kashe Shugaba Muammar Gaddafi mai dogon zamani a 2011. Osama Ali, mai magana ne da yawun hukumomin ba da agaji ya fada wa kamfanin dillancin labarai na AFP cewa wani hari ne daga Tajoura kai tsaye ya fada wa wata rumfa da ake tsare 'yan ci-rani 120. Ya ce mai yiwuwa ne mamatan su fi 40 domin kuwa kididdigar mutanen da aka kashe din ta farko-farko ce. Jami'an agaji sun isa wurin da lamarin ya faru a yankin Tajoura na birnin Tripoli Cibiyoyin tsare 'yan ci-ranin dai sun shiga tsaka mai wuya. Gwamnatin National Accord mai samun goyon bayan Majalisar Dinkin Duniya wadda Fira minista Fayez ai Serra ke jagoranta ta zargi dakarun Libyan National Army da kai wannan hari na wayewar garin ranar Laraba. Mayakan karkashin jagorancin Khalifa Haftar na fada ne da dakarun gwamnatin da kasashen duniya ke marawa baya a yankin da harin ya auku. A ranar Litinin ne ta sanar da cewa za ta fara kai hare-hare ta sama cikin birnin Tripoli bayan hanyoyin da aka saba da su sun faskara. Sai dai mai magana da yawun mayakan ya musanta cewa dakarunsu ne suka far wa cibiyar tsare mutanen."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45203936", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-45223236", "doc1": "ইনকা ওলাদিরান বলেন, বাড়ির মালিকরা আশা করেন প্রতিটি মেয়ের একজন পুরুষসঙ্গী থাকবে যার ফলে একা মেয়েদের পক্ষে বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনুফানমিলোলার বয়স ৩০। পেশাজীবনে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। খুব সহজেই তিনি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু পাঁচ মাস ধরে বাসা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে এক বান্ধবীর বাসার সোফা। ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে লেগোস থেকে আবেওকুটা তে চলে আসে। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরেও মধ্যবিত্ত বা একটু বিত্তবানদের এলাকাতে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেননি।কারণ একটাই তিনি একা থাকবেন ঐ বাসাতে। অনেক বাড়িওয়ালা মনে করেন মেয়েরা যথেষ্ট অর্থ থাকে না বিল পরিশোধ করার অনুফানমিলোলা বলছিলেন \"প্রথম প্রশ্ন যে আমারকে শুনতে হয় সেটা হল আমি কি বিবাহিত? আমি বলি না,তারপর প্রশ্ন করা হয় কেন আমি বিয়ে করিনি। আমি বিভ্রান্ত হই। একটা বাসা ভাড়া নেয়ার সাথে বিয়ের কী সম্পর্ক?\" আমরা ভদ্র লোককে বাসা ভাড়া দিতে চাই অনুফানমিলোলা বলছিলেন, এই বৈষম্য ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিবিসিকে তিনি বলেন \" ৯৯% বাড়ীর মালিক যাদের সাথে আমি সাক্ষাত করেছি, তারা কেউ আমাকে বাসা ভাড়া দেয়নি, কারণ আমি একা নারী। অনেক মালিক এবং এজেন্ট আমাকে বলেছে তুমি কি তোমার পুরুষ-সঙ্গী বা স্বামীকে আনতে পারবে? এই ধরণের অ্যাপার্টমেন্টে আমরাই চাই না কোন পুরুষ আসুক, আমরা চাই একজন ভদ্র মানুষকে ভাড়া\"। পুরুষদের বেশি অর্থ আছে সিলভিয়া অয়িনডা রিটেইল সেক্টরের একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। ৩১ বছরে তার বাগদান হয়। কিন্তু প্রতি বাড়ীওয়ালা তাকে বলেন আগে তার হবু স্বামীকে আনতে হবে তারপর তারা অ্যপার্টমেন্ট দেখাবে। নাইজেরিয়াতে একটা কথা প্রচলিত আছে 'স্মল গার্ল, বিগ গড'। বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। এই কথার অর্থ অনেকটা এমন, যারা সিঙ্গেল মেয়ে তাদের অর্থের যোগানদাতা থাকে। তারা বেশির ভাগই হয় বৃদ্ধ লোক। মিজ অয়িনডা বলছিলেন, বাড়ির মালিকরা মনে করেন বেশির ভাগ তরুণী যারা একা থাকে তাকে ঐরকম। কোলম্যান ওয়াফোর একটি বাড়ির মালিক এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক। তিনি বলছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে বৈষম্য করেন না। কিন্তু তার বেশির ভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। তিনি বিবিসিকে বলেন \"বেশির ভাগ একা মেয়েরা হয় তাদের বাবা মা অথবা পুরুষসঙ্গী ওপর নির্ভরশীল। আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না এক বছর পর কী হবে। এবং প্রতিটা বাড়িওয়ালা চায় কোন ঝামেলা ছাড়া মাসের ভাড়া পাবে আর সময়মত কন্ট্রাক্ট নবায়ন করবে\"। তিনি বলছিলেন, বেশির ভাগ একলা মেয়েরা কোন কাজ করে না। এখানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। এটাই এখানকার পরিস্থিতি।", "doc2": "Yinka Oladiran ta ce masu bada haya sun fi so su ga mace tare da namiji. Wata mata mai shekara 30 da ke da babban aiki Olufunmilola Ogungbile, ba ta taba tunanin cewa za ta shafe wata biyar tana kwana a gidan kawarta ba, yayin da take neman gida a birnin Abeokuta a kudu maso yammacin Najeriya. Ta koma Abeokuta ne daga Lagos bayan ta samu wani aiki mai tsoka daga gwamnatin jihar Ondo a matsayin babbar jami'ar wani shiri. To amma duk da cewa tana da kudi sosai, ta sha wahalar samun gidan da za ta zauna saboda ba ta da aure. Ta ce \"Tambayar farko da mai gida zai yi miki shi ne ko kina da aure?\" Inji Ogungbile, \"sai in ce musu 'ba ni da shi', sai ki ji sun ce to mai ya sa? A mafi yawan lokutan abin yana daure mata kai. \"Me ya hada batun aurena da gidan da zan zauna?\" 'Muna son kamilallun mutane ne' Ms Ogungbile ta ce matsalar ta wuce duk yadda ake tunani. \"Kaso casa'in da tara cikin masu bayar da haya in na je wajensu ba sa son ba ni gida, saboda ba ni da aure,\" kamar yadda ta shaidawa BBC. Ta kara da cewa, \"mafi yawancin wakilan masu ba da hayar suna ce min, 'Za ki iya zuwa da saurayinki ko da mijinki?' A irin wadannan gidajen, ba ma so mu ga samari suna shigowa barkatai. Muna so mu ga kamilallun mutane.\" Mafi yawan masu gidajen haya ba sunz zaton mata ba sa samun kudin da za su iya biyan haya. Mis Ogungbile na ganin cewa matsalar da ta fuskanta tana da dangantaka ne da al'ada, inda ake daukar aure a matsayin wani ma'auni na kamewar mace. \"A wannan yankin, idan ba ki da aure to kawai ana daukar ki a matsayin karuwa,\" a cewar ta. Sylvia Oyinda -wata mai shago a Lagos - na da ra'ayin cewa irin wannan kallo da ake yi wa matan da ba su da aure ne ya sa suke wahalar samun gida a Najeriya. An yi wa Ms Oyinda, mai shekara 31 baiko lokacin da ta ke neman gida. To amma an ki ba ta haya in ba ta je da saurayinta ba. 'Maza sun fi kudi' Ms Oyinda ta ce irin wannan kallon masu gidajen haya suke yi wa mata. \"Masu gidajen haya uku na hadu da su, kuma sun ki nuna min gidajensu, suna ce min kar in damu,\" in ji Oyinda A karshe dole ala tilas ta daina yawon neman gida ita kadai, ta fara zuwa da saurayinta, wanda a yanzu suka yi aure, kuma da zuwa aka dauke ta da muhimmanci. A yanzu ma'auratan na zaune a a wani gida mai daki hudu a unguwar Lekki. Coleman Nwafor, Wani dillali kuma mai gidan hanya, ya ce shi ba ya nuna bambamci, sai dai mafi yawancin wadanda ya ke mu'amala da su wajen haya ko sayen gidaje maza ne, saboda sun fi kudi. \"Mafi yawancin 'yan matan da suke zuwa neman gida suna karkashin iyayensu ne ko kuma samarinsu. Ba ka san me zai faru ba bayan shekara guda. Sannan su kuma masu gidajen haya sun fi son wadanda za su ringa biyan kudin haya ba tare da jinkiri ba,\" kamar yadda ya shaidawa BBC. 'Masu gidan haya suna sa wa mata ido' Yinka Oladiran mai shekara 25, wacce ta koma Lagos daga birnin New York a 2016 domin neman aikin gidan talabijin, ta ce ta zauna ba mai sa mata ido a Amurka, kuma tana so ta samu irin wannan 'yanci a Najeriya. Masu bada haya suna fi amincewa da mata da miji. Tana kuma so ta rage yawan tafiyar da ta ke yi inda take shafe sa'o'i uku kafin ta je wajen aiki daga gidan iyayenta, to amma ta kasa samun gidan haya har sai da mahaifinta ya nuna amincewa. Daga karshe dai hakarta ta cimma ruwa, bayan shafe wata shida tana neman gidan. Sai dai ta ce a ko yaushe tana fuskantar raini daga masu gadin gidan, musamman idan ta makara ba ta koma gida da wuri ba, har a wasu lokutan su kan tambaye ta wajen wa ta zo? \"Farurwar hakan a kai a kai raini ne,\" a cewar Oladiran. To amma a wajen Ogungbile, wahalarta ta wata biyar wajen neman gida ta zo karshe, domin kuwa a yanzu ta samu gidan da za ta zauna. Ta ce ta samu gidan ne ta hanyar wani dillali wanda ya maida hankali kan hanyar samun kudinta, ba tare da ya damu da jinsinta ko aurenta ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47535761", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/44318414", "doc1": "টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচ জিনেদিন জিদান ফিরেছেন রেয়াল মাদ্রিদে সান্তিয়াগো সোলারি, যিনি একজন সাবেক রেয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় বরখাস্ত হয়েছেন। ফিরে আসার পর, রেয়াল মাদ্রিদকে 'ঘর' আখ্যা দিয়ে জিদান বলেন তিনি খুবই খুশি। রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই মিডফিল্ডার গেলো বছরের মে মাসে ক্লাব ছাড়েন। পদত্যাগ করার আগে টানা তিন মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান, যা ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ একটি শিরোপা। জিদানের নতুন চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত। জিদান যোগ দেয়ার পর রেয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেন, \"বিশ্বের সেরা ম্যানেজার আবার ক্লাবে যোগ দিয়েছেন।\" \"আমাদের পথ আবারো এক হয়েছে।\" আরো পড়ুন: যে ৪টি কারণে সেরা নারী ফুটবলাররা গ্রাম থেকেই আসছে ৯ ম্যাচে ৫৪ গোল: কিশোরী ফুটবলারদের সাফল্যের রহস্য যে কারণে খুব অল্প বয়সে খেলা ছাড়েন নারী ফুটবলাররা ঠিক কেনো কোচ বদলের সিদ্ধান্ত? এই মৌসুমের পয়েন্ট তালিকায় রেয়াল মাদ্রিদের অবস্থান তিন নম্বরে, এখনো টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে দলটি। মাত্রই রোববার রেয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এর আগে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয় রেয়াল। তখনই পেরেজ সিদ্ধান্ত নেন কোচ বদলের। পাঁচ মাস কোচের দায়িত্ব পালন করেন সোলারি এর আগে এল ক্লাসিকো অর্থাৎ রেয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যকার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দ্বৈরথে টানা দুইবার হেরে যায় বার্সেলোনা। লা লিগায় ১-০ ব্যবধানে এবং কোপা দেল রে'তে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে হারে রেয়াল মাদ্রিদ। কী পরিস্থিতিতে জিদান ক্লাব ছেড়েছিলেন? চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুলকে হারানোর পরপরই জিদান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর রেয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ হুলেন লোপেতেগির নাম ঘোষণা করে জিদানের পরবর্তী কোচ হিসেবে। তাৎক্ষনিকভাবে স্পেন তাকে বিশ্বকাপের দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের পর কিন্তু এর ঠিক সাড়ে চার মাসের মধ্যে রেয়াল মাদ্রিদও তাকে বরখাস্ত করে। এরপর রিজার্ভ দলের কোচ সোলারির ওপর ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব আসে। ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পান সোলারি গত বছরের ১৩ই নভেম্বর। সোলারির বিদায়ের পর ক্লাব তাকে ধন্যবাদ জানায়। জিদান ক্লাবে এসে বলেন এই ক্লাবটি যেখানে থাকার কথা সেখানে পৌঁছানো আমার দায়িত্ব। \"আমি মাদ্রিদেই ছিলাম, কিছু জিরিয়ে নিয়েছি, এবং এখন আমি সতেজ, আমি এই বিখ্যাত ক্লাবের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত এখন।\" রেয়াল মাদ্রিদের পরিস্থিতি কী? মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে রেয়াল মাদ্রিদে ফিরেছেন জিদান। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই রেয়াল মাদ্রিদের যে অবনতি হয়েছে সেটা ঠিক করা জিদানের প্রথম চ্যালেঞ্জ। গেলো সপ্তাহেই বেশ খারাপ কিছু ফলাফল করেছে ক্লাবটি। পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সুযোগ্য কোনো বিকল্প খুঁজে পায়নি ক্লাবটি এখনো পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সুযোগ্য কোনো বিকল্প খুঁজে পায়নি ক্লাবটি। রোনালদো গত গ্রীষ্মে মাদ্রিদ ছাড়েন। করিম বেনজেমা ক্লাবের একমাত্র ফুটবলার যিনি এই মৌসুমে লা লিগায় ১০টির বেশি গোল করেছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বেনজেমার গোলসংখ্যা ২২টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গ্যারেথ বেল করেছেন ১৩টি এবং ১১টি গোল করেছেন রামোস। কিন্তু এরা কেউই রেয়াল মাদ্রিদে দীর্ঘসময় থাকবেন সেটা বলা যাচ্ছে না। অধিনায়ক রামোস সম্পর্কে শোনা যাচ্ছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আর ওয়েলসের গ্যারেথ বেলের এটাই সম্ভাব্য শেষ মৌসুম রেয়াল মাদ্রিদে, ক্লাবের ভক্তদের সাথে তার সম্পর্ক খুব খারাপ হয়েছে। স্পেনের ফুটবল পত্রিকা মার্কায় তিন লক্ষ রেয়াল মাদ্রিদ ভক্ত ভোট দেন এমনকি স্পেন ভিত্তিক পত্রিকা মার্কার এক জরিপে দেখা গিয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ মাদ্রিদ ভক্ত বেলকে রেয়ালে চান। জিদানের সাথেও বেলের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না তিন বছরে। এবার ইডেন হ্যাজার্ড বা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের দিকে ঝুঁকতে পারে রেয়াল মাদ্রিদ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ডাকসু নির্বাচন: নূরকে ভিপি মানছে না ছাত্রলীগ ডাকসুতে ছাত্রলীগের শোভন পরাজিত, নুরুল ভিপি হুমকির মুখে মাইকেল জ্যাকসনের সুনাম?", "doc2": "Sau hudu Zinedine Zidane yana lashe Kofin Zakarun Turai - sau uku a matsayin koci da sau daya a matsayin dan wasa Zidane ya sanar da matakin ajiye aikinsa a wani taron manema labarai a ranar Alhamis. Ya ce \"abubuwa sun canza kuma dalilin da ya sa na dauki wannan matakin, kulub din yana bukatar wani salo na daban\" a cewarsa. Zidane wanda ya karbi aikin horar da Real Madrid a watan Janairun 2016 ya fice bayan ya jagoranci kungiyar ga nasarar lashe Kofin Zakarun Turai karo uku a jere da kofin La liga guda daya. Ya ce Ral Madrid kungiya ce da ya ke \"matukar kauna.\" Zidane mai shekara 45, ya fara jan ragamar kungiyar ne bayan tafiyar Rafael Benitez. Kuma ya jagoranci kungiyar ta samu nasara a wasannin 104, ya buga kunnen doki a wasanni a 29 da kuma lashe manyan kofuna tara. Sai dai kungiyar Madrid ta kasance a mataki na uku ne a kakar La Ligar bana wato maki 17 tsakaninta da abokiyar hamayyarta Barcelona. Zidane ya taba cewa zai tafi a watan Fabrairu \"idan ya ga babu wani sabon sauyi da zai kawo a kungiyar\". Sanarwar barin aikin ta zo wa mutanen da yawa da ba-zata saboda yadda ta zo kwanaki kadan bayan doke Liverpool da ci 3-1 a wasan karshe na Gasar Zakarun Turai. Karanta wadansu karin labarai"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52960666", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52961299", "doc1": "বিক্ষোভের দৃশ্য মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এই অঙ্গীকার করেছেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলের তেরজন সদস্যের মধ্যে নয়জনই শহরে 'জননিরাপত্তার একটি নতুন মডেলে'র কথা বলছেন। মেয়র জ্যাকব ফ্রে আগে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীদের দুয়ো শুনেছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আমেরিকায় পুলিশ মানুষ হত্যা করলেও দোষী সাব্যস্ত হয় না কেন? আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে কেন কিছু প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় লন্ডনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ: বর্ণবাদের যাতাকলে ৩০ বছর কলিন পাওয়েল ওদিকে কলিন পাওয়েল একজন রিপাবলিকান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের একজন। তিনি বলছেন সামনের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে ভোটই দেবেননা। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবেলা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার কঠোর সমালোচনা করে মিস্টার পাওয়েল বলেছেন প্রেসিডেন্ট 'সংবিধান থেকে সরে যাচ্ছেন'। অবশ্য মিস্টার ট্রাম্পও যথারীতি এর জবাব দিয়ে মিস্টার পাওয়েলকে 'অত্যন্ত অতিমূল্যায়িত' বলে খোঁচা দিয়েছেন। কলিন পাওয়েল সম্ভবত একমাত্র আফ্রিকান আমেরিকান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিক্ষোভ দমনে আর্মি নামানোর যে হুমকি দিয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে তাতে সর্বশেষ সংযোজন মিস্টার পাওয়েল। আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিসে পুলিশী হেফাজতে নিহত হন গত ২৫শে মে এবং তার মৃত্যুর জের ধরে দেশটিতে তীব্র বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন তৈরি হয়েছে। রোববার সিটি কাউন্সিলের তের জন সদস্য বিক্ষোভকারীদের সামনে এসে স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে ভেঙ্গে দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন এবং এর পরিবর্তে জননিরাপত্তায় নতুন মডেল তৈরির কথা বলেছেন যা সত্যিকার অর্থেই কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখবে। এদিকে পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করায় নিরাপত্তামূলক কিছু পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে এক সপ্তাহ ধরে চলা কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে এবং মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি ন্যাশনাল গার্ডকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আন্দোলনের প্রতি কয়েকটি শিশুর সংহতি কলিন পাওয়েল যা বলেছেন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, \"আমাদের একটি সংবিধান আছে এবং আমাদের সেটি অনুসরণ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ক্রমশ তা থেকে দূরে সরছেন\"। সাবেক এই চার তারকা জেনারেল বলেন, ট্রাম্প যেভাবে কথা বলছেন আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। \"আমি নিঃসন্দেহে কোনো ভাবেই তাকে সমর্থন করতে পারি না\"। উদারপন্থী রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত মিস্টার পাওয়েল ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্পকে সমর্থন দেননি। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে ইউরোপে, এটি মাদ্রিদের বিক্ষোভ ট্রাম্প যেভাবে জবাব দিলেন টুইটারে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মিস্টার পাওয়েলকে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে জড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, \"কলিন পাওয়েল বলেননি ইরাকে মানববিধ্বংসী অস্ত্র আছে? তাদের ছিলোনা কিন্তু আমরা যুদ্ধে জড়িয়েছি\"। শনিবার বিক্ষোভের সময় হোয়াইট হাউজের সামনে সেনা মোতায়েন করা হয় বিক্ষোভের কী অবস্থা সহিংস বিক্ষোভ এখন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে রূপ নিয়েছে এবং রোববার কয়েকটি ইউরোপীয় দেশেও প্রতিবাদ হয়েছে। শনিবার বড় র‍্যালী হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো ও স্যানফ্রান্সিককোতে।", "doc2": "Wasu masu zanga-zanga sun dade suna kiraye-kirayen a rusa rundunar 'yan sandan birnin Tara daga cikin kansiloli 13 na majalisar gudanarwar sun ce za su samar da \"wani sabon tsarin da za a mayar da hankali ga tsare lafiyar mutanen birnin\" da ake tuhumar jami'an tsaro da nuna bambancin launin fata ta hanyar fifita Amurkawa farar fata. Tun da farko Magajin Garin Jacon Frey ya ki amincewa da a dauki matakin rusa tsarin aikin 'yan sandan birnin, abin da ya janyo jama'a suka rika yi masa ihu. An shirya binne gawar Mista Floyd ranar Talata a Houston, birnin da ya zauna gabanin komawarsa Minneapolis. Zanga-zanga ta barke a biranen Amurka bayan da wani bidiyo ya fito a shafukan intanet, inda aka ga wani dan sanda farar fata ya maƙure Mista Floyd a kasa da gwuiwoyinsa na tsawon minti tara. Hakan ne ya yi sanadin ajalin George Floyd. An kori dan sandan mai suna Derek Chauvin daga aiki kuma yana fuskantar tuhumar kisan kai. Sauran 'yan sanda uku da ke tare da Mista Chauvin na fuskantar tuhumar taimakawa ko kin daukar matakin hana abokin aikinsu kashe George Floyd Kansilolin tara sun karanta wata takarda a gaban daruruwan mazauna birnin a rana ta 13 ta zanga-zangar. Shugabar majalisar gudanarwar birnin Minneapolis Lisa Bender ce ta jagoranci kansilolin a ganawar da suka yi da masu zanga-zangar: Ta ce: \"Yanzun nan mu kansiloli tara na majalisar birnin Minneapolis mun sanar da kudurinmu na rusa rundunar 'yan sandan Minneapolis, domin gina sabon tsarin samar da tsaro ga al'umomin birnin nan tare da gudunmuwar jama'ar birnin nan.\" Kansila Alondra Cano ta aika da wani sakon Twitter jim kadan bayan majalisar birnin ta yanke hukuncin rusa rundunar 'yan sandan: A cikin sakon, kansilar ta ce \"duka kokarinmu na kawo sauyi sannu a hankali ya gaza. Wannan haka yake ko shakka babu.\" Mis Bender ta ce za a tattauna kan yadda sabon tsarin aikin 'yan sanda zai kasance a kwani masu zuwa, kuma ta ce majalisar za ta yi amfani da kudaden da aka ware wa rundunar 'yan sandan birni ga ayyukan raya unguwannin birnin. Wannan matakin da mahukuntan birnin Minneapolis suka dauka zai ja hankulan Amurkawa, kuma yana iya kawo wani gagarumin sauyi ga yadda ake gudanar da aikin 'yan sanda a fadin kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54082931", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54082881", "doc1": "অক্সফোর্ডের টিকা নিচ্ছেন একজন স্বেচ্ছাসেবী ব্যাখ্যা করা যায় না, এমন অসুস্থতার কারণে এরকম বিরতিকে 'রুটিন' কাজের অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই টিকার ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বিশ্ব জুড়ে যেসব চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে। সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই টিকাটি সবার আগে বাজারে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীদের ওপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে। অনেক সময় সেটা কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে? টিকার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যেসব রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার বিষয়ে কী বলা হচ্ছে? এই টিকাটির সব ধরণের আন্তর্জাতিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, যতদিন না স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষক এর নিরাপত্তার বিষয়গুলো যাচাই করে দেখবেন। এরপর তদারকি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন যে, পুনরায় পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে কিনা। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফারগাস ওয়ালশ এই তথ্য জানিয়েছেন। ''বড় ধরণের পরীক্ষায় অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে সেটা অবশ্যই স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষককে সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে,'' অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, অক্সফোর্ডের এই টিকাটির পরীক্ষা এর আগেও একবার স্থগিত করা হয়েছিল। বড় ধরণের পরীক্ষায় এ ধরণের ঘটনা অনেক সময় ঘটে থাকে। যখন কোন অংশগ্রহণকারীর অসুস্থতার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়না, তখন অনেক সময় তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই আবার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে। যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করেছে, সেই স্ট্যাট নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একজন অংশগ্রহণকারীর শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাৎক্ষণিকভাবে যার কারণ জানা যায়নি। তবে তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এটিএম সেবা নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকছে কেন? হত্যার আগে থেকেই কীভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল খাসোগজিকে মানসিক উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন যে বিষয়গুলো দেখবেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন কোথায় রয়েছে বিশ্ব? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই তিনি একটি টিকা দেখতে চান। তবে তার এই মন্তব্য আশঙ্কা তৈরি করেছে যে, রাজনীতির কারণে নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই না করেই টিকা উৎপাদনের চেষ্টা হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে চেষ্টা করছে, এমন নয়টি প্রতিষ্ঠান গত মঙ্গলবার বিরল এক ঘোষণায় নিশ্চিত করেছে যে, টিকা উৎপাদনে তারা সবরকম বৈজ্ঞানিক এবং গুণগত মান বজায় রাখবে। ওই ঘোষণায় অংশ নেয়া নয়টি প্রতিষ্ঠানের একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যারা বলছে, তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের আবেদন করা হবে। জনসন এন্ড জনসন, বাইয়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লেইন, পিফিজের, মের্ক, মর্ডানা, সানোফি এবং নোভাভ্যাক্সও ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ''তারা সবসময়েই নিরাপত্তা এবং টিকা দেয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে।'' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে এর কোনটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। সংস্থাটি বলছে, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষার নিয়মনীতি মেনে কোন টিকাই এই বছরের মধ্যে আসতে পারবে বলে তারা মনে করে না। কারণ এসব টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই করতে সময় লাগে। তা সত্ত্বেও চীন এবং রাশিয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। সেসব টিকাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় পরীক্ষামূলক হিসাবে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আভাস দিয়ে বলছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয়া হতে পারে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Dama a na matakin karshe ne na gwajin, to amma dole ta sa a ka dakatar. Kamfanin AstraZeneca ya bayyana cewa an dakatar da gwajin nan take saboda rashin fahimtar nau'in rashin lafiyar da ta kama wanda ake gwajin kansa. An zuba ido sosai a fadin duniya don sanin sakamakon rigakafin annobar da AstraZeneca ta kuduri samarwa. Rigakafin na hadin gwuiwa tsakanin kamfanin samar da maganin da jami'ar Oxford, shi ne a ka fi sa ran ya zama mafi inganci a cikin gwamman rigakafin da ake kan samarwa a fadin duniya. Hakama riga-kafin ne aka zaci zai fara shiga kasuwa, don tuni ya tsallake matakan gwaji na daya da na biyu. A yanzu ne ya shiga mataki na uku, inda ake gudanar da gwaji kan mutun 30,000 a Amurka da Burtaniya da kuma Afrika ta Kudu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55513178", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55513308", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে থাকে। একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। সে হিসেবে ইরানের কাছে এখনও ওই পরিমাণে ইউরেনিয়াম নেই। তবে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের এই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৪% এর নিচে রাখার কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে এনে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন। এর পর থেকেই ইরান এই চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করে। তবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীন সবাই আশা করে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। ইরান কী পরিকল্পনা করছে? আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে যে, ইরান ২০% পর্যন্ত বিশুদ্ধ পরমাণু সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা ফর্দো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্টকে জানিয়েছে। ইরানের এই পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পটি দেশটির একটি পাহাড়ের ভেতরে নির্মিত একটি স্থাপনা। সংস্থাটি আরও বলছে: \"সংস্থাকে যে চিঠিটি ইরান দিয়েছে, সেখানে এই সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম কখন থেকে হবে তা বলা হয়নি।\" ২০১৯ সালের পরমাণু চুক্তিতে শর্ত দেয়া হয়েছিল যে ইরান ৩.৬৭% এর বেশি বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, কিন্তু সেই শর্ত তারা লঙ্ঘন করেছে। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা তখন থেকেই ৪.৫% পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় গত মাসে ইরানের পার্লামেন্ট পরমাণু সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা বিষয়ক একটি আইন পাস করে। ওই বিলটিতে বলা হয়েছে হয়েছে যে, ইরানের তেল ও আর্থিক খাতের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলো দুই মাসের মধ্যে শিথিল না করলে ইরানের সরকার ২০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ আবারও শুরু করবে। নাতান্জ এবং ফর্দো ইরানের পরমাণু স্থাপনায় জাতিসংঘের পরিদর্শকদের যেন যেতে দেয়া না হয় সে বিষয়ে ওই আইনে আদেশ দেয়া হয়েছে। ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কী? ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাস সেন্ট্রিফিউজে ঢুকিয়ে, পরমাণু ফিশনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত আইসোটপটি আলাদা করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হয়। এটি ইউ -২৩৫ নামে পরিচিত। স্বল্প-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামে, ইউ -২৩৫ এর ঘনত্ব সাধারণত ৩-৫% হয়। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় এই স্বল্প-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম, জ্বালানী উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ঘনত্ব ২০% বা তার বেশি হতে পারে এবং এতো সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম গবেষণার চুল্লিগুলোয় ব্যবহৃত হয়। তবে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম ৯০% বা তারও বেশি সমৃদ্ধ হতে হয়। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমাবদ্ধ করা কেন প্রয়োজন? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ক্রমবর্ধমান থাকলে এটি দেশটির \"ব্রেক-আউট টাইম\" কমে যেতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে \"ব্রেক-আউট টাইম\" বলতে পারমাণবিক বোমা বিকাশ করার সময়কে বোঝায়। ইরান জোর দিয়ে বলে আসছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইরান একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে এমন সন্দেহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ ২০১০ সালে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্তে দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা কি রয়েছে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তিকে \"অপচয় এবং যাচ্ছেতাই\" আখ্যায়িত করে ২০১৮ সালের মে মাসে চুক্তি থেকে সরে আসেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তিতে ফিরিয়ে আনবেন। আরও পড়তে পারেন: পরমাণু সক্ষমতা বাড়াতে আইন পাস করলো ইরান পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলো ইরান ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হাতে নিহত ফখরিযাদে হত্যাকাণ্ড: ইরান কেন এক্ষুণি প্রতিশোধ নেবার কথা বলছে না? প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলে এ নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল- এবং ইরান যদি \"পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো কঠোরভাবে মেনে চলে\" তবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে জো বাইডেন জানান। মি. বাইডেন, ২০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তিনি গত বছর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন যে \"বিষয়টি অবশ্যই কঠিন\" কিন্তু, \"বিশ্বের ওই অংশে পারমাণবিক সক্ষমতা যেন শেষ হয়, সেটা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের কাজ\"। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিতে ফিরে এলে ইরান আবারও চুক্তিটি মেনে চলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মিস্টার বাইডেন যদি ২০১৭ সালের মতো পরিস্থিতিতে ফিরে আসেন, তবে আমরাও তাই করব,\" ডিসেম্বরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন।", "doc2": "Iran dai ta dade tana karya wani bangare na dokar makaman na nukiliya, to sai dai ana yi wa barazanar ta yanzu kallon wuce-gona da iri. Hukumar ta IAEA ta ce Iraniyawa sun sanar da ita cewa sun kudiri niyyar fara sarrafa sinadarin na Uranium zuwa kaso 20 na ma'aunin inganci. Hakan kuwa ya gaza kaso 90 da ake bukata domin samar da makaman nukiliya kwarai da aniya. To sai dai bisa yarjejeniyar nukiliya ta duniya, bai kamata Iran ta gota kaso hudu ba na sarrafa sinadarin. Babu tantama cewa shirin Iran din na kokarin inganta Uranium zai tunzira kasashen da ke son taka wa shirinta na samar makamin nukiliya burki. A 2018 ne dai shugaban Amurka mai barin gado, Donald Trump ya kekketa takardar yarjejeniyar ya kuma sanar da ficewa. Mista Trump ya kuma sake kakaba wa Iran din jerin takunkumin karya tattalin arziki masu zafin gaske. To sai dai maimakon Iran din ta saduda sai ta kara kaimi wajen saba iyakokin da aka gindaya mata a cikin yarjejeniyar. A watan jiya ne hankalin Iraniyawa ya tashi sakamakon kisan fitaccen masanin kimiyyar makamin nukiliyar kasar da ta zargi kasar Isra'ila da yi. Kuma hakan ne ya sa majalisar dokokin Iran din ta nemi da aka matsa gaba wajen sarrafa Uranium din zuwa kaso 20 ma'aunin inganci."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43551338", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48702122", "doc1": "একজন উচ্চপদস্থ উত্তর কোরিয়ান কর্মকর্তা চীন সফর করছেন।ধারণা করা হচ্ছে তিনি কিম জং-আন। জাপানের গণমাধ্যম থেকে প্রথম জানানো হয় একটি উত্তর কোরিয়ান কূটনীতিক ট্রেনে উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা বেইজিংয়ে পৌঁছেছে এবং যে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে তারা কর্মকর্তার পরিচয় জানে না, তবে তারা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। আরো পড়ুন: কিভাবে সম্ভব হলো কিম-ট্রাম্প বৈঠকের উদ্যোগ ? রকেট ম্যান, উন্মাদ: ট্রাম্প-কিমের বিদ্রুপ যুদ্ধ কিমের আমন্ত্রণে ট্রাম্পের সাড়া দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি মি. কিমের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হতে পারে। চীন বা উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয়নি। তবে এরকম একটি সফরকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হবে। গতমাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্র্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মি. কিমের সাথে দেখা করার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকে সফল করার উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন উত্তর কোরিয়া ও চীনের নেতারা এই সাক্ষাতের আগে দেখা করতে পারেন। উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী চীন। টোকিও ভিত্তিক নিপ্পন নিউজ নেটওয়ার্ক সবুজ রংয়ের এই ট্রেনটির ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হয় ট্রেনটি মি. কিমের বাবার ব্যবহার করা ট্রেনের মত দেখতে। ২০১১ তে কিম জং-আনের বাবা কিম জং-ইল যখন বেইজিং সফর করেন তখন এই ট্রেনটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। কিম জং-ইল চীন সফর শেষে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর সফরের খবর প্রকাশিত হয়। উত্তর কোরিয়ার একজন নেতা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বেইজিংয়ের একটি এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে রাখে পুলিশ বেইজিং রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে একটি দোকানের ম্যানেজার সোমবার দুপুরে \"অস্বাভাবিক\" দৃশ্য দেখেছেন বলে জানান তিনি । \"স্টেশনের বাইরে ও ভেতরে অনেক পুলিশ ছিল। স্টেশন ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল\", এএফপি নিউজ এজেন্সিকে জানান তিনি। রয়টার্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বেইজিংয়ের তিয়ানানমান স্কোয়ার থেকে পুলিশ পর্যটকদের সরিয়ে দিচ্ছিলো যা সেখানকার 'গ্রেট হল অব পিপল' এ উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক হলে করা হয়। বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে পুলিশ প্রহরায় একটি গাড়িবহর ঐ স্থান থেকে চলে যেতে দেখা গেছে। উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যে প্রধান রেলওয়ে যোগাযোগের পথ রয়েছে চীনের সীমান্তবর্তী শহর ড্যানডংয়ে। সেখানেও অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখা গেছে বলে বলা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজের সাথে কথা বলার সময় বিশ্লেষকরা বলেছেন এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মি. কিমের ছোট বোন কিম ইয়ো-জং, যিনি সম্প্রতি শীতকালীন অলিম্পিকে দক্ষিণ কোরিয়া সফল করেছেন, তিনিও হতে পারেন। সেনাবাহিনী কর্মকর্তা চোয়ে রিয়ং-হায়ে'র নামও আসছে সাম্ভাব্য তালিকায়। সোলের রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন \"আমরা এখনো নিশ্চিত হইনি বেইজিং সফরে কে গিয়েছেন। আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।\" উত্তর কোরিয়ার বৈঠকসমূহ এর আগে মার্চে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনের সাথে দেখা করেন। আগামী মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথমবারের মত ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সাথে সাক্সাৎ করার কথা রয়েছে কিম জং-আনের। আরো পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কম ছবি কেন বাংলাদেশে? গায়ের রংয়ের ওপর নাগরিকত্ব দেয়া হয় যে দেশে দেশে দেশে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার ট্রাম্প ও কিম: শত্রু থেকে বন্ধু?", "doc2": "Sun sha haduwa a baya amma ba su taba kasancewa a Koriya ta Arewa tare ba Mista Xi ya kasance Shugaban China na farko cikin shekara 14 da ke ziyara a kasar ta Koriya ta Arewa. Kafin wannan ziyara, sau hudu shugaban na China yana karbar bakuncin takwaran nasa na Koriya ta Arewa. Dukkanin shugabannin biyu a yanzu suna dambarwa da Amurka, inda China ke takaddama da ita a kan harkokin kasuwanci, ita kuma Koriya ta Arewar, suke wa juna kallon hadarin kaji da Washington din a kan shirinta na makaman nukiliya. China na son Koriya ta Arewa ta daina gwajin makamai masu linzami Gwamnatin China ta kafe cewa ta amince da matsayar Koriya ta Arewa ta lalata makamanta na kare-dangi daki-daki, amma ita kuwa Amurka ta ce lalle ita so take ta ga Koriyar ta lalata wani babban bangare na makaman nata, kafin ta amince ta cire wa Pyongyang takunkumin tattalin arzikin da ta sanya mata. China ita ce, kadai wata babbar kawa ga Koriya ta Arewa, a don haka Mista Kim zai iya amfani da wannan dama ya nuna wa gwamnatin Trump cewa yana da gaggan abokai masu karfin gaske a tare da shi. A watan Yuni na 2018, Kim Jong-un da Donald Trump sun hadu a karon farko Ana ganin shugabannin biyu za kuma su tattauna tasirin takunkumin tattalin arzikin wanda China ta bayar da shawarar Amurka ta sassauta wa Pyongyang. Yayin da rikicin China da Amurka kan kasuwanci ke ci gaba, Shugaban na Sin ya san cewa da wannan ziyara tasa Amurka za ta san cewa yana da tasirin fadi-a-ji ga Koriya ta Arewa a kan shirinta na nukiliya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54013894", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54002616", "doc1": "কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় দুর্নীতি বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি মি. নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক। গত মাসে রাশিয়ার সাইবেরিয়া এলাকা থেকে বিমানে যাত্রার সময় ফ্লাইটের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে বিমানে করে বার্লিনে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এরপর থেকে তিনি কোমায় আছেন। নভিচকের নাম শেষবার খবরে এসেছিল ২০১৮ সালে। তখন ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে রাশিয়ার সাবেক এক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নভিচক বিষ প্রয়োগ করে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মি. নাভালনি এবং এর আগে মি. স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের বিষক্রিয়ায় তাদের কোনরকম ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে। ৬৬ বছর বয়সী সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ৩৩ বছরের ইউলিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজনেই পরে সেরে ওঠেন। নভিচক সামরিক মানের স্নায়ুর ক্ষতিসাধনকারী বিষগুলোর মধ্যে একটি। আমরা কতটুকু জানি এই বিষ সম্পর্কে? এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে রুশ ভাষায় নভিচক নামের মানে ''নবাগত''। ১৯৭০ এবং ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন উচ্চ ক্ষমতার স্নায়ুর ক্ষতিকারক যেসব রাসায়নিক বিষ তৈরি করেছিল এই নভিচক সেই দলে পড়ে। এধরনের বিষ চতুর্থ স্তরের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে পরিচিত এবং 'ফোলিয়েন্ট' এই সাংকেতিক নামের এক সোভিয়েত কর্মসূচির আওতায় এটি তৈরি করা হয়। ড. ভিল মির্জায়ানফ নামে একজন রসায়নবিদ ১৯৯০এর দশকে রুশ সংবাদমাধ্যমে এই নভিচকের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। পরে তিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে প্রকাশ করা 'স্টেট সিক্রেটস' (রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য) নামে তার বইয়ে তিনি নভিচকের রাসায়নিক ফর্মূলা ফাঁস করেন। আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ১৯৯৯ সালে উজবেকিস্তানে যান সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম সর্ববৃহৎ রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ভেঙে ফেলার এবং সেটিকে বিষমুক্ত করার লক্ষ্যে। ড. মির্জায়ানফ জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নভিচক সীমিতভাবে উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করতো। এই রাসায়নিক বিষ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এর উপস্থিতি ধরতে না পারেন। এই গোষ্ঠীভুক্ত রাসায়নিক বিষগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক। ভিএক্স নার্ভএজেন্ট নামে এই জাতের অন্য যেসব রাসায়নিক বিষ রয়েছে, তার থেকে পাঁচ বা আটগুণ বেশি ক্ষতিকারক এই নভিচক বিষ। ''সারিন গ্যাস বা ভিএক্স-এর মত রাসায়নিক বিষের চেয়েও বেশি বিপদজনক এবং বেশি উন্নত মানের বিষ এই নভিচক এবং এটি শনাক্ত করা অনেক বেশি কঠিন,'' বলছেন ব্রিটেনের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গ্যারি স্টিফেন্স। নভিচক বিষের প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়? নভিচকের বিষক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হয় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত রয়েছে। ড. ভিল মির্জায়ানফ বলছেন, এটা অনেক মাস ধরে স্থায়ী হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির উগলেফ, যিনি দাবি করেন স্ক্রিপাল পরিবারকে যে নভিচক বিষ দেয়া হয়েছিল সেটির উদ্ভাবক তিনি, তার মতে এই বিষ \"খুবই স্থিতিশীল''। অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাসায়নিক বিষ টেকসই ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এটির বিষক্রিয়া বেশ কয়েকমাস এমনকী কয়েক বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে যদি এই বিষ কোন পাত্রের ভেতর মজুত রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষমতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। ''স্নায়ুর এই বিষ নভিচক, উবে যায় না। এটি পানির মধ্যেও মিশে যায় না অর্থাৎ পানিতে মিশলেও এর গঠন বদলায় না,'' বলেছেন লন্ডনে ইউনিভার্সিটি কলেজের রসায়নের অধ্যাপক অ্যানড্রিয়া সেলা। একটা সমস্যা হল নভিচক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কম এবং স্নায়ু ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক বিষের চাইতে এই বিষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কম। এছাড়াও এই বিষ কতদিন শরীরে কাজ করে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি 'নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কিম জং নাম-কে' নভিচক দেখতে কেমন? কিছু কিছু নভিচক তরল পদার্থ, আবার নভিচক কঠিন পদার্থ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে নভিচক ব্যবহার করা হয় অতি সূক্ষ্ম পাউডার হিসাবে। কিছু নভিচক এমন ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়, যেখানে বিষটি রাখা হয় দুটি অপেক্ষাকৃত কম বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান হিসাবে। এতে বিষটি মজুত রাখা, পরিবহন করা বা এটি ব্যবহার করার সময় এটা কম বিষাক্ত থাকে, এবং যারা বিষটি নিয়ে কাজ করছে তাদের জন্য এটা ক্ষতিকর হয় না। কিন্তু প্রয়োগ করার পর এর বিষ পুরো মাত্রায় কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে যেখানে সের্গেই ও ইউলিয়া স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেখানে তদন্তের কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষটি প্রয়োগ করা হলে দুটি উপাদান মিশ্রিত হয়ে পুরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ''এধরনের রাসায়নিক বিষ তৈরি করা সহজ, কারণ যেসব উপাদান দিয়ে এটা তৈরি হয় সেসব উপাদান নিষিদ্ধ নয়,'' বলছেন অধ্যাপক স্টিফেনস। কয়েকটি নভিচক খুব দ্রুত কাজ করতে পারে অন্যান্য রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত ও মারাত্মক নভিচক। কাজেই কোন কোন জাতের নভিচক খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে - প্রয়োগের ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিটের মধ্যে। এই বিষ শরীরে কাজ করে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে বা নি:শ্বাসের মাধ্যমে সেটা শরীরে ঢুকলে। চামড়ার মধ্যে দিয়েও এই বিষ শরীরে ঢুকতে পারে। এর উপসর্গ অন্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই নভিচক বিষ কাজ করে অন্যান্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই। এই বিষ মস্তিষ্ক থেকে শরীরের মাংসপেশীতে বার্তাবাহী স্নায়ুগুলোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন বহু স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ড. মির্জায়ানফ বলেছেন, এই বিষক্রিয়ার প্রথম উপসর্গ হল চোখের মণি ছোট হয়ে চোখে অন্ধকার দেখা। বিষের পরিমাণ বেশি হলে খিঁচুনি হতে পারে এবং নি:শ্বাসের কষ্ট দেখা দিতে পারে, তিনি বলেন। ''এরপরই শুরু হয় ঘন ঘন খিঁচুনি এবং বমি এবং তারপর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।'' গত মাসে সন্দেহভাজন বিষ প্রয়োগের পর থেকে আলেক্সেই নাভালনি কোমায় রয়েছেন। ড. মির্জায়ানফ বলছেন, এই বিষক্রিয়া থামানোর জন্য ওষুধ হিসাবে অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাথিন ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলো ব্যবহার করে রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় না। কেউ যদি এই রাসায়নিক বিষের সংস্পর্শে আসে তার কাপড়চোপড় সব খুলে দিতে হয় এবং সাবান ও পানি দিয়ে তার চামড়া পুরো পরিষ্কার করতে হয়। তার চোখও ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হয় এবং তাকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করতে হয়। আর কেউ নভিচক তৈরি করেছে? ড. মির্জায়ানফ বলছেন, ''রাশিয়া যেহেতু এই নভিচক বিষ উদ্ভাবন করেছে, রাশিয়ারই এই রাসায়নিক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং রাশিয়া এই বিষকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে বিষাক্ত অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া রাশিয়া পুরো আয়ত করেছে।'' জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সোভিয়েত আমলে উদ্ভাবিত এই স্নায়ুর ক্ষতিকারক বিষ তৈরি দেশটি ১৯৯২ সালে বন্ধ করে দিয়েছে, এবং যা মজুত ছিল তার পুরোটাই ২০১৭ সালে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭য় রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ নিশ্চিত করে যে রাশিয়ায় মজুত ৩৯,৯৬৭ টন রাসায়নিক অস্ত্র পুরো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নভিচক রাসায়নিক বিষের কথা কখনও ওই সংস্থাকে সরকারিভাবে জানানো হয়নি। এবং যে রাসায়নিক দিয়ে নভিচক জাতীয় বিষ তৈরি করা হয়েছে তা কখনও নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়নি, কারণ এগুলোর রাসায়নিক গঠনপ্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি, বলেছেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেস্টেয়ার হে।", "doc2": "Ta ce wani gwaji da aka yi ya gano ''tabbas hakika'' gubar Novichok ce a jikinsa. A watan da ya gabata ne aka garzaya da Mr Navalny birnin Berlin na Jamus don a yi masa magani bayan da ya fara rashin lafiya a yayin da yake tafiya a cikin jirgi zuwa yankin Siberia na kasar Rasha. Tun a lokacin ya yi dogon suma bai farfado ba. Tawagarsa ta ce guba aka sanya masa a bisa umarnin Shugaba Vladimir Putin. Amma Fadar Kremlin ta yi watsi da zargin. Gwamnatin Jamus ta ce ta yi Allah-wadai da harin da babbar murya ta kuma yi kira ga Rasha da ta yi gaggawar yin bayani. \"Abun daga hankali ne cewa an sanya wa Alexei Navalny guba a Rasha,'' in ji ta. Shugabar gwamnatin Jamus Angela Merkel ta gana da manyan ministocinta don tattaunawa kan matakai na gaba, a cewar sanarwar gwamnatin. Fadar Kremlin ta Rasha ta ce ba ta samu kowane irin bayani daga Jamus cewa gubar Novichok aka sanya Mista Nevelny ba, a cewar kamfanin dillancin labaran kasar na Tass. Amma likitocin da suka duba shi a Rasha sun ce ba su ga alamar guba a jikinsa ba. Mr Navalny ya fara rashin lafiya ne a cikin jirgi a Rasha ranar Alhamis. Wani bidiyo da ya bayyana ya nuna Mr Mr Navalny, mai yawan sukar gwamnatin Rasha, yana murkususun ciwo a cikin jirgin mai zuwa Moscow daga birnin Tomsk na Siberia. Nan da nan aka yi saukar gaggawa a Omsk inda aka fara duba shi. Magoya bayansa sun yi zargin guba aka sanya masa a kan kofin shayin da ya sha a filin jirgin saman Tomsk. A wata sanarwarsu ta baya-bayan nan bayan ta tawagar likitocin Jamus, likitocin Omsk sun ce gwaji bai nuna alamar guba a jikinsa ba. A makon d ya gabata tawagar ta ce watakila wani ciwo ne mai alaka da yin kasa da sikarin jikinsa ya yi. A ranar Juma'a, sun ce yana cikin yanayi mai tsanani da ba za a iya tafiya da shi ba, amma daga baya aka sanya shi a jirgin gaggawa, inda ya sauke shi a Berlin a ranar Asabar da safe. Me likitocin Jamus suka ce? Sanarwa daga Jamus din ta ce yana cikin ''yanayi mai tsanani amma ba ya cikin barazanar rasa ransa.''"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53020847", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52894884", "doc1": "মিনেসোটার সেন্ট পল থেকে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি সরিয়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্টু জুড়ে, বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঐ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বাদেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে - যেখানে সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্ণবাদসহ সব ধরণের বৈষম্যের অবসানের দাবি তুলেছে মানুষ। আর গত কয়েকদিন ধরে এই বিক্ষোভে নতুন এক অনুষঙ্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আর তা হলো বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় অনেক ঐতিহাসিক নেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে কিংবা উপড়ে ফেলছে। ব্রিটেনের 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' বিক্ষোভকারীরা ব্রিস্টল শহরে এডওয়ার্ড কলস্টোনের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলে। আর খোদ আমেরিকায় ভাঙ্গা হয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ভাস্কর্য। দাবি তোলা হয়েছে যে কনফেডারেট জেনারেলদের নামে যেসব সেনানিবাস রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করতে হবে। বস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলা হয় বিশ ডলারের নোট চলমান বিক্ষোভ দুনিয়াকে কতটা পাল্টাবে তা হয়তো আরও পরে বোঝা যাবে, তবে যে ঘটনার কারণে এই বিক্ষোভের শুরু, সেটির সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ২০ ডলারের একটি নোট। জর্জ ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি ২০ ডলারের একটি জাল নোট দিয়ে একটি দোকান থেকে সিগারেট কেনার চেষ্টা করছিলেন। কর্তৃপক্ষ দোকানদার ও জর্জ ফ্লয়েডের কথোপকথনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় জর্জ ফ্লয়েড যে নোটটি দিয়েছিলেন, দোকানের কর্মচারী সেটিকে জাল হিসেবে সন্দেহ করার পর ফ্লয়েডের কাছে বিক্রি করা সিগারেট ফেরত চান। পুলিশের কাছে দোকানদারের করা ফোনের ভিত্তিতে তৈরি করা সেই অনুলিপিটিতে বলা হয় যে দোকানদার সন্দেহ করেছিল যে ঐ ব্যক্তি 'মাতাল' এবং 'নিয়ন্ত্রণহীন' অবস্থায় রয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোকানটির মালিক মাইক আবুমায়ালেহ জানান, জর্জ ফ্লয়েড তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের ছিলেন এবং কখনোই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে মাইক আবুমায়ালেহ বলেন যে ঘটনার দিন তিনি দোকানে থাকলে পুলিশকে ফোন করার প্রয়োজনই হতো না এবং জর্জ ফ্লয়েডও হয়তো বেঁচে থাকতেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঐ দোকানে যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেন, দোকানের এক কিশোর কর্মচারী সেদিন পুলিশকে ফোন করেছিল, কারণ জাল নোট সন্দেহ হলে পুলিশকে ফোন করাই নিয়ম। ঐ প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলেন, পরে ফ্লয়েডের পরিণতি দেখে ঐ কর্মচারী 'আত্মগ্লানি'তে ভুগছিলেন। কালো মানুষ পণ্য ব্রিস্টল শহরের এডওয়ার্ড কলস্টন ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন দাস ব্যবসায়ী। ১৬৭২ থেকে ১৬৮৯ পর্যন্ত এডওয়ার্ড কলস্টনের জাহাজে করে প্রায় ৮০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে আমেরিকায় ক্রীতদাস হিসেবে পাঠানো হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ব্রিস্টল শহরের বিকাশ ও সমৃদ্ধির ইতিহাসের সঙ্গে দাস ব্যবসা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই কয়েক শতাব্দী ধরে ব্রিস্টলে কলস্টনের স্মৃতিকে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে ব্রিস্টলের অনেক মানুষ আবার অনেক দিন ধরেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলস্টনের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার পর অনেকে দাবি তুলছেন, ব্রিটেনে নানা জায়গায় বর্ণবাদ ও দাস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের যেসব ভাস্কর্য আছে - সেগুলোও অপসারণ করতে হবে। ঐ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও একইভাবে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবাদকারীরা। বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তির মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ওপরও সম্প্রতি চাপ এসেছে গৃহযুদ্ধের সময়কার কয়েকজন কনফেডারেট নেতার নামানুসারে দেয়া সেনাঘাঁটির নাম পরিবর্তন করার। `কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে আমি আতঙ্কিত` কেন মূর্তি ভাঙছে বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে যে বর্ণবাদ, দাসপ্রথা বা দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মূর্তি প্রকাশ্যে রাখা চলবে না। যদি ইতিহাসের প্রয়োজনে সেগুলোকে রাখতেই হয়, তবে সেগুলোকে যাদুঘরে স্থানান্তরিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে গত কয়েকদিনে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে আমেরিকায় এসে স্থানীয়দের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ কলম্বাসের স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অনেক স্কুলে কলম্বাসের জীবনীতে তাকে 'নতুন পৃথিবীর আবিষ্কারক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু আমেরিকার আদি অধিবাসীরা বহু বছর ধরেই এই চলের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, কলম্বাসের অভিযানই আমেরিকার ঔপনিবেশিক শাসনের এবং আদি আমেরিকান অধিবাসীদের গণহত্যার পেছনের কারণ। মিনেসোটা ও ভার্জিনিয়া রাজ্য এবং বস্টন ও মিয়ামি শহরে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বুধবার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কনফেডারেট প্রেসিডেন্ট জেফারসন ডেভিসের একটি মূর্তি উৎপাটন করে বিক্ষোভকারীরা। ব্রিস্টলে কলস্টনের মূর্তি নামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি রাজ্য ছিল যাদের পরিচিতি ছিল কনফেডারেট রাজ্য হিসেবে, যারা একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র গঠন করার দাবি জানিয়েছিল। পরে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেটদের পরাজয় হয়। কনফেডারেট রাজ্যগুলো দাস প্রথার সমর্থক ছিল এবং দাস প্রথাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষে ছিল তারা। আর এই কারণেই কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি অপসারণের দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের মতে, বর্ণবৈষম্য ও বর্ণবিদ্বেষহীন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্ণবাদকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা করা নেতাদের মহিমান্বিত করা বন্ধ করতে হবে। আর বিভিন্ন জায়গায় তাদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার মাধ্যমেই শুরু করতে হবে সেই কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহর এবং সংগঠন কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি এবং কনফেডারেট মতবাদ প্রকাশ করে এমন প্রতীক সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত থাকায় এসব প্রতীক অপসারষণের দাবি করা হয়ে আসছিল অনেকদিন ধরেই।", "doc2": "Fiye da mako guda kenan ana zanga-zangar Allah-wadai da kisan George Floyd, wani baƙar fata a Amurka Mun yi duba kan wasu bayanai na aikata manyan laifuka da shari'a a Amurka, da kuma abin da hakan ke nunawa game da abin da Amurkawa bakaken fata ke fuskanta idan aka zo batun doka da oda. 1. Amurkawa bakaken fata sun fi fuskantar hadarin mutuwa daga harbin bindiga Alkaluman da ake da su na irin yanayin da 'yan sanda suka harbi tare da kashe mutane sun nuna cewa akwai yiwuwar Amurkawa bakaken fata su ci gaba da fuskantar barazanar kisa ta hanyar harbi idan aka duba yawansu a Amurka. A takaice dai, a shekarar 2019, duk da cewa yawan Amurkawa bakaken fata ya kai kashi 14 cikin 100 na al'ummar kasar (duba da alkaluman kidaya na hukuma), su ne kashi 23 cikin 100 na yawan wadanda 'yan sanda suka kashe cikin mutum 1,000. Kuma tun shekarar 2017 wannan adadi bai sauya ba, inda yawan fararen fata da ake kashewa kuma ke ta raguwa tun lokacin. 2. Ana yawan kama Amurkawa bakaken fata saboda shaye-shaye An fi kama Amurkawa bakaken fata fiye da Amurkawa farare, duk da cewa bincike ya nuna babu bambanci tsakaninsu wurin yawan amfani da kayan maye. A shekarar 2018, an kama kusan mutum 750 cikin duk mutum 100,000 na Amurkawa bakaken fata kan shan kayan maye, idan aka kwatanta da inda ake samun irin hakan cikin Amurkawa fararen fata da kusan mutum 350 cikin 100,000 ke irin wannan halayya ta shan kayan maye. Wani tsohon binciken kasar kan amfani da kayan maye ya nuna yadda Amurkawa fararen fata ke amfani da kayan maye kai da kai da bakaken fata, amma sai aka fi ci gaba da kama bakaken fatar. Misali, wani bincike da wata Kungiyar Neman 'Yanci Ta Amurka ta yi ya gano cewa Amurkawa bakaken fata sun fi fuskantar yiwuwar a kama su sau 3.7 kan amfani da wiwi fiye da fararen fata, duk da cewa yadda duka bangarorin ke amfani da wiwi din kai daya ne. 3. An fi ɗaure Amurkawa baƙaƙen fata An fi ɗaure Amurkawa baƙaƙen fata sau biyar fiye da yadda ake ɗaure fararen fata, kuma fiye da sau biyu na yadda ake ɗaure Amurkawa 'yan asalin Sifaniya, a cewar bayanan baya-bayan nan. A shekarar 2018, Amurkawa baƙaƙen fata ne suka mamaye kashi 13 cikin 100 na yawan al'ummar Amurka, amma su ne kashi uku cikin huɗu na yawan waɗanda ke tsare a gidajen yarin ƙasar. Amurkawa fararen fata su ne kashi 30 cikin 100 na yawan waɗanda ke tsare a gidajen yarin ƙasar - duk da cewa su suke wakiltar kashi 60 cikin 100 na yawan al'ummar Amurkan. Hakan na nufin akwai fiye da Amurkawa baƙaƙen fata 1,000 da ke gidajen yari cikin duk Amurkawa baƙaƙen fata 100,000, idan aka kwatanta da fararen fata 200 cikin duk 100,000 da ke gidajen yari. An bayyana yawan mutanen da ke tsare a gidajen yarin Amurka a matsayin kowanne su zai yi zaman fiye da shekara daya a gidan yarin jiha ko na tarayya. Yawan Amurkawa baƙaƙen fata da ake ɗaurewa a gidan yari ya ragu cikin shekara 10 da suka gabata, amma har yanzu su ne suka fi yawa a gidajen yari fiye da kowace ƙabila."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-42664424", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-42661542", "doc1": "কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠকের সময় মিস্টার ট্রাম্প খুবই স্থূল এবং অরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে এক বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব দেশকে 'শিটহোল' বা 'পায়খানার গর্তে'র সঙ্গে তুলনা করেন বলে খবর দেয় মার্কিন গণমাধ্যম। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা এবং প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এরকম শব্দ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করছেন। কিন্তু ঐ বৈঠকে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় একজন সেনেটর ডিক ডারবিন দাবি করছেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে বর্ণবাদী শব্দ ব্যবহার করতে শুনেছেন। তিনি শুধু একবার নয়, কয়েকবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি কিছু আফ্রিকান দেশকে 'শিটহোল' বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল সহ অনেক সংবাদপত্রেই বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশিত হয়। এর কোন প্রতিবাদ হোয়াইট হাউজ থেকে করা হয়নি। সেনেটর ডিক ডারবিন বলেন, \"আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে গতকাল প্রেসিডেন্ট যে শব্দগুলো সেখানে ব্যবহার করেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে, ঐ ওভাল অফিসে বসে এর আগে কখনো কোন প্রেসিডেন্ট তা বলেছেন।\" অভিবাসন নিয়ে গতকাল রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দলীয় সেনেটরদের একটি দল একটি প্রস্তাব নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়েছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি তাদের বলেছিলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বা এরকম বিপর্যয়ের শিকার দেশগুলোর মানুষদের আশ্রয় দেয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত নরওয়ের মত দেশ থেকে অভিবাসীদের আনা। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রেসিডেন্টকে সরাসরি উদ্ধৃত করে বলছে, এর পর তিনি বলেছেন, \"এই সব 'শিটহোল' দেশ থেকে কেন লোকজনকে আমাদের দেশে আনতে হবে।\" সেনেটর ডারবিন বলেন, যখন প্রেসিডেন্টকে জানানো হয় যে 'টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাস' (টিপিএস) বা সাময়িক সুরক্ষা পাওয়া অভিবাসীদের বেশিরভাগই এল সালভাডর, হন্ডুরাস এবং হেইতির নাগরিক, তখন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'হেইশিয়ান? আমাদের কি আসলে আরও হেইশিয়ানের কোন দরকার আছে\"? তবে শুক্রবার সকাল থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক টুইট করে এরকম কথা বলার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, \"আমি হেইতির মানুষ সম্পর্কে বাজে কিছু বলিনি।\" বোতসোয়ানা সেদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এসব কথাবার্তা চরম দায়িত্বহীন, নিন্দনীয় এবং বর্ণবাদী।\" আফ্রিকান ইউনিয়ন বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য শুনে শংকিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট এসব কথা সত্যিই বলে থাকেন সেটা স্তম্ভিত হওয়ার মতো এবং লজ্জাজনক। তিনি বলেন, এটাকে 'বর্ণবাদী' বলা ছাড়া আর কিছু বলার সুযোগ নেই। আর যুক্তরাষ্ট্রে অশ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের একটি সংগঠন 'ন্যাশনাল এসোসিয়েশেন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপল' বলেছে, প্রেসিডেন্ট দিনে দিনে আরও বেশি করে বর্ণবাদ আর বিদেশি বিদ্বেষের গর্তের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন। কংগ্রেসের এক কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য সেডরিক রিচমন্ড বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যে আমেরিকাকে আবারও সেরা দেশে পরিণত করার নামে আসলে শ্বেতাঙ্গদের দেশে পরিণত করতে চাইছেন, এটা তার আরও একটা প্রমান।", "doc2": "\"Me ya sa wadannan mutane da suka fito daga wulakantattun kasashe suka shigo nan?\" tambayar kenan da Mr Trump ya yi wa 'yan majalisar dokoki ranar Alhamis, kamar yadda kafafen watsa labaran Amurka suka ruwaito. Wadannan kalamai, wadanda ya yi a lokacin da suke tattaunawa kan shige-da-fice, ya yi su ne kan 'yan kasashen Afirka da Haiti da kuma El Salvador. Fadar White House ba ta musanta kalaman wulakancin da Donald Trump a kan 'yan ci-ranin ba. A makonnin baya bayan nan, gwamnatin Mr Trump tana ta kokarin ganin ta takaita iyalan 'yan ci-ranin da ke zaune a kasar da za a iya barin su su shiga Amurka, kuma ta dauki matakin ganin ta soke izinin zaman mutane da dama a kasar. Mene ne takamaiman abin da ya fada? Kalaman wulakancin da Mr Trump ya yi sun faru ne a lokacin da 'yan majalisar daga jam'iyyun kasar suka kai masa ziyara ranar Alhamis domin gabatar masa da kudirin dokar shige-da-fice wanda suka amince da shi. Dan majalisar dattawa na jam'iyyar Democrat Richard Durbin ya yi jawabi kan izinin zama dan kasa na wucin gadi da aka bai wa 'yan kasashen da suka hadu da mummunan bali'i. Jaridar Washington Post ta ambato Mr Trump na shaida wa 'yan majalisar cewa a maimakon karbar 'yan ci-rani daga wadancan kasshe, ya kamata Amurka ta rika amincewa da 'yan ci-rani daga kasashe irinsu Norway, kasar da Firai ministanta y ziyarci Trump a ranar. Jaridar ta ambato shi yana cewa : \"Me ya sa za mu kyale 'yan kasar Haiti a wannan kasar? Ya kamata mu kore su.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53659904", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53662298", "doc1": "বৈরুতের বন্দরের নিকটবর্তী অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিস্ফোরণে এমনও খবর পাওয়া যাচ্ছে যে কয়েক'শো কিলোমিটার দূরের সাইপ্রাসেও ঐ বিস্ফোরণের আঁচ পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা বলছেন এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা পরিস্কার নয়। ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের সামনে লেবাননের 'লেবানিজ এমিগ্র্যান্ট' স্ট্যাচু বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে পর বৈরুতের আকাশে ধোঁয়া আহত এক ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে ধ্বংসস্তুপের নিচে মানুষকে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিস্ফোরণের পর রাস্তাগুলোও যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্ফোরণের স্থান থেকে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া সব ছবির কপিরাইট রয়েছে", "doc2": "Yankin da ke kusa da tashar ruwa ta Beirut ta fuskanci mummunar fashewa Shugaban kasar Michel Aoun ya ce ton fiye da 2,750 na wasu sinadirai na Ammonium nitrate da aka ajiye a wani wajen ajiye kayayyaki na tsawon shekaru shida ne ya janwo wannan barna. Butun Mutumin 'yan ciranin Lebonan a tsaye gaban ginin da ya ruguje Fashewar ta lalata gidaje da gine-gine masu yawa Hayaki ya turnike samaniya bayan fashewar da aka samu Wani mutum da aka ceto da raunuka a jikinsa bayan faruwar lamarin Wani mutum dauke da wata yarinya da ta ji rauyni Tituna sun cika da ifece-ifece a lokacin bayan fashewar Tagogi sun yi kaca-kaca sakamakon fashewar Bakin hayaki da ya turnuke sama sakamakon fashewar Hotunan na karkashin dokar hakkin mallaka"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55122692", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55122913", "doc1": "নিহত ইরানী পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা মনে করেন, মি ফখরিযাদে ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির প্রধান স্তম্ভ। তবে ইরানের সংবাদ মাধ্যম মি. ফখরিযাদের গুরুত্ব খাটো কারে দেখাচ্ছে। তারা তাকে বর্ণনা করছে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে যিনি সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে একটি টেস্ট কিট বানানোর গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। লন্ডনে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মার্ক ফিটজপ্র্যাট্রিক, যিনি ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির ওপর গভীর নজর রাখেন, মোহসেন ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের পর টুইট করেন: “ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি এখন এমন অবস্থায় চলে গেছে যেখানে তা আর একজন মাত্র ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়।“ যদিও আমরা জানি যে মিস্টার ফখরিযাদের ওপর যখন হামলা হয়, তখন তার সাথে বেশ কজন দেহরক্ষী ছিল। সুতরাং বোঝা যায় যে তার নিরাপত্তাকে ইরান কতটা গুরুত্ব দিত। সুতরাং তাকে হত্যার পেছনে ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির সম্পর্ক যতটা না ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল তার চেয়ে বেশি। হত্যার সম্ভাব্য মোটিভ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য দুটো মোটিভ বা উদ্দেশ্য কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে: প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন সরকারের সাথে ইরানের সম্পর্ক ভালো হওয়ার যে কোনো সম্ভাবনা নষ্ট করা। দ্বিতীয়ত: ইরানকে বদলা নিতে উস্কানি দেওয়া। মোহসেন ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের পর তার প্রথম বক্তব্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মন্তব্য করেন, “শত্রুরা গত কয় সপ্তাহ ধরে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।“ তিনি বলেন, “তারা বুঝতে পারছে, বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, এবং হাতের বাকি সময়টায় তারা এই অঞ্চলে একটি অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে।“ ২০১৮ সালে এক লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিতে মি ফখরিযাদের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “মোহসেন ফকরিযাদে নামটি মনে রাখুন।“ সন্দেহ নেই যে “শত্রু“ বলতে মি রুহানি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবকে বুঝিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তনের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব উদ্বিগ্ন। জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এই দুই দেশ চিন্তিত। তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি বাইডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তিনি ইরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যেতে চান। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা সরকার এই চুক্তির প্রধান উদ্যোক্তা ছিল, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন। ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা অনেক মিডিয়ায় গত রোববার সৌদি আরবের নিওম শহরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে এক গোপন বৈঠকের খবর প্রচারিত হয়, এবং বলা হয় ইরান নিয়ে তাদের দুই দেশের উদ্বেগ নিয়ে ঐ বৈঠকে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে নিওমে ঐ বৈঠকে ইসরায়েলের সাথে এখনই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মিস্টার নেতানিয়াহু যুবরাজ মোহাম্মদকে রাজী করাতে পারেননি। অবশ্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোন বৈঠক হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। যুবরাজ মোহাম্মদ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠকের পরদিনই সোমবার যখন ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা জেদ্দায় একটি তেলের স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যেটিকে সৌদি আরব হয়তো বদলা নেওয়ার একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে। ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের কট্টরপন্থী মিডিয়ায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রচার করা হয়, “হুথিরা কুদস-২ (ইরানে তৈরি) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।“ ইরানের সরকার সমর্থক সংবাদ সংস্থা মেহের লেখে, “এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। সৌদি-ইসরায়েল বৈঠকের পর ঐ দুই দেশকে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হলো যে ইরানের বিরুদ্ধে যেন কিছু করার আগে তারা যেন দশবার ভাবে।“ ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে সৌদি ক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে হামলার পরিকল্পনা ট্রাম্পের তেহরানে পোড়ানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের পতাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন তার ‘দি রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড‘ বইতে লিখেছেন কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসন ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের সমর্থনকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার একটি প্রয়াস হিসাবে দেখে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী নিওমে যুবরাজ মোহাম্মদ এবং মিস্টার নেতানিয়াহুর বৈঠকের আয়োজন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ঐ বৈঠকের আগে তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে প্রধানত ইরান নিয়ে কথা বলে আসেন। মার্কিন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তার দুই সপ্তাহ আগে ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় হামলার উপায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন। মিস্টার ট্রাম্প সম্ভবত তার বিদায়ের আগে ইরানকে এক হাত দেখে নেওয়ার চিন্তা করছিলেন। জানুয়ারিতে, ইরানী সেনা কম্যান্ডার কাসেম সোলায়মানিকে ড্রোন হামলা করে হত্যা করার পর তা নিয়ে খোলাখুলি বাগাড়ম্বর করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও ঐ হত্যাকাণ্ডকে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা “বেআইনি“ বলে বর্ণনা করেন, কিন্তু মি ট্রাম্প সে সময় খোলাখুলি বলেন, তার নির্দেশেই কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদের হত্যকাণ্ডের পেছনেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুমোদন থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। ২০১৮ সালে এক লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিতে মিস্টার ফখরিযাদের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “মোহসেন ফকরিযাদে নামটি মনে রাখুন।“ যদিও ইসরায়েল জানে জো বাইডেন তাদের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ থাকবেন, কিন্তু তাদের মনে একটি উদ্বেগ কাজ করছে যে জো বাইডেনের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইরানের সাথে করা পারমানবিক চুক্তির একজন ঘোরতর সমর্থক। ইসরায়েল হয়ত এ নিয়েও শঙ্কিত যে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সম্পর্কে মিস্টার ব্লিনকেনের দৃষ্টিভঙ্গি ফিলিস্তিনিদের সুবিধা দেবে। ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের বৈধ রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়াকে পছন্দ করেননি নতুন এই সম্ভাব্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও জো বাইডেন বলেছেন তিনি জেরুজালেম নিয়ে মি ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদলাবেন না। ইরানের দ্বিধা এই গাড়িতে যাওয়ার সময় মিস্টার ফখরিযাদের ওপর হামলা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি মোহসেন ফখরিযাদেকে হত্যার জন্য দায়ীদের “নিশ্চিত শাস্তির“ কথা বলেছেন। ইরানের ভেতরেই নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা দুর্বলতা নিয়ে কথা উঠেছে। ইরানের রেভল্যুশনারী গার্ড বাহিনীর প্রভাবশালী একজন কমান্ডার মোহসিন রেজায়েই বলেন, “ভেতরে ঢুকে পড়া গুপ্তচর যারা বিদেশী গুপ্তচর সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।“ ইরানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে ইরানের সরকার যখন তাদের সেনা এবং গোয়েন্দা দক্ষতা নিয়ে এত বড়াই করে, তখন কীভাবে নিরাপত্তার আবরণে থাকা একজন বিজ্ঞানী এভাবে দিনে দুপুরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর নির্বিচারে ধরপাকড় নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্থানে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব যেখানে তাদের প্রধান একজন মিত্র হারাচ্ছে, সে সময় ইরান আশা করছে জো বাইডেন তাদের ওপর থেকে অনেক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন যা তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে। ফলে তারা মিস্টার ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে এখনই কিছু করতে চাইছে না। ড. মাসুমে তরফে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের একজন গবেষক। তিনি ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ।", "doc2": "The road near Tehran where gunmen opened fire on Mohsen Fakhrizadeh Majiyoyin tsaro na ƙasashen yammaci sun ɗauke shi babban mai tasiri a aikin. Kafofin yaɗa labaran Iran ba su wani ɗauki Fakhrizadeh da muhimmanci ba, inda suka ɗauke shi kawai a matsayin masanin kimiya mai binciken \"kayan gwajin na cutar korona\" a makwannin da suka gabata Mark Fitzpatrick, mai nazari a cibiyar nazari ta Landan da ke bibiyar shirin nukiliyar Iran sosai, ya bayyana a shafinsa na Twitter cewa: \"Shirin nukiliyar Iran ya fi ƙarfin ace ya dogara da mutum ɗaya\" Amma mun san lokacin da aka kai masa hari Fakhrizadeh yana tare da dogarai da yawa, wanda ke nuna girman yadda Iran ke tsaronsa. Don haka, dalilan kisansa - inda babu wanda ya fito ya yi ikirarin ɗaukar alhaki - zai iya nasaba da siyasa, maimakon abin da ya shafi ayyukan nukiliyar Iran. Mohsen Fakhrizadeh, shi ne jagoran bincike da ƙirƙire-ƙirkire a ma'aikatar tsaron Iran Dalilai guda biyu na iya zama: na farko, don yin zagon ƙasa ga danganta tsakanin Iran da sabuwar gwamnatin Biden ta Amurka. Na biyu kuma, don takalar Iran ta fusata ta yi wani abu na ramuwar gayya. \"Maƙiya na fuskantar damuwa tsawon makwanni ,\" in ji shugaba Hassan Rouhani a cikin jawabinsa kan kisan. Ya ƙara da cewa: \"Suna damu cewa yanayin duniya na sauyawa, kuma suna ƙoƙarin yin amfani da waɗannan ranakun don ƙirƙirar wani yanayi marar kyau a yankin.\" Lokacin da Rouhani yake magana kan \"maƙiyan\" Iran, yana magana ne kan gwamnatin Trump, da Isra'ila da kuma Saudiyya. Dukkanin Isra'ila da Saudiyya sun damu da sauyin yanayin siyasa a Gabas Ta Tsakiya da kuma abin da zai biyo baya da zarar zaɓaɓɓen shugaban ƙasar Amurka Joe Biden ya karɓi mulki. Mista Biden ya fayyace lokacin yaƙin neman zaɓensa cewa yana fatan sake komawa yarjejeniyar nukiliyar Iran, da gwamnatin Barack Obama ya ƙulla a 2015, wacce kuma Trump ta fice a 2018. Fakhrizadeh ya ji mummunan rauni a harin kafin daga baya ya mutu a asibiti, kamar yadda jami'ai suka ce Rahotanni sun ce an tattauna damuwar da Isra'ila da Saudiyya ke da ita game da Iran inda kafafen yaɗa labaran Isra'ila suka ce an yi wata ganawar sirri tsakanin Firaministan Isra'ila Benjamin Netanyahu da kuma Yarima mai jiran gado na Saudiyya Mohammad bin Salman a ranar Lahadi. Amma ma'aikatar harakokin wajen Saudiyya ta musanta cewa an yi ganawar. Rahotanni sun kuma ce Mista Netanyahu ya gaza shawo kan yariman kan farfaɗo da huldar ƙasashen biyu. A ranar Litinin, lokacin da mayaƙan Houthi na Yemen da ke samun goyon bayan Iran suka kai hari wata cibiyar man kamfanin Aramco na Saudiyya a birnin Jeddah, batun sake tunkarar Saudiyya bai taso ba. Kafofin ƴada labaran Iran sun nuna jin daɗinsu da harin makami mai linzami da ƴan Houthi suka kai. \"Yunƙuri ne da ya yi daidai da tattaunawar Saudiyya da Isra'ila, kuma gargaɗi kada su raina su,\" a cewar kamfanin dillacin labarai na Mehr. Amurkawa sun taya Saudiyya jimamin harin. Tsohon mai bada shawara kan sha'anin tsaro na Amurka, John Bolton a cikin littafinsa, The Room Where It Happened, ya bayyana yadda gwamnatin Trump ta ɗauki goyon bayan Iran ga ƴan Houthi a matsayin \"ɗa'awar ƙiyayya ga manufar Amurka a gabas ta tsakiya.\" Rahoton tattaunawar Neom da aka yi an bayyana cewa sakataren harakokin wajen Amurka Mike Pompeo ne ya shirya ta, wanda ya tafi Qatar da Haɗaɗɗiyar Daular Larabawa, inda batun Iran ne ya mamaye. Tun makwanni biyu baya, Shugaba Trump ya nemi shawarar manyan masu ba shi shawara ko yana da damar yin amfani da ƙarfin soji ya afkawa cibiyar nukiliyar Iran, kamar yadda kafofin yaɗa labaran Amurka suka ruwaito. Trump na neman hanyar da yin fito-na-fito da Iran kafin ya sauka. A watan Janairu, Trump ya yi alfahari kan kisan gillar da aka yi wa babban kwamandan sojan Iran Janar Qasem Soleimani a wani harin jirgin yaƙin Amurka marar matuƙi a Iraƙi, duk da cewa Majalisar Ɗinkin Duniya ta bayyana kisan a matsayin wanda ya saɓa doka. \"Mun dakatar da shi da sauri kuma mun dakatar da shi cikin ruwan sanyi.. bisa umurni na,\" in ji shi. Don haka, ana iya cewa, shugaban bai soki kashe-kashen gillar ba dukkaninsu. Takwaransa na Iran, ya zargi Isra'ila da kisan Fakhrizadeh. Haka kuma, rahotanni da dama sun bayyana cewa, Firaminista Netanyahu yana ɗaya daga cikin shugabannin duniya da suka yi magana kai-tsaye game da masanin kimiyar. A wani jawabin da ya gabatar ta kafar talabijin a 2018, ya ambato Fakhrizadeh a matsayin wanda ke jagorantar shirin nukiliyar Iran, tare da cewa mutane su \"riƙe sunan kada su manta.\" Yayin da kuma Isra'ila ke da tabbacin cewa Amurka za ta ci gaba da tabbatar da manufarta kan tsaro ƙarƙashin jagorancin Biden, dole kuma ta damu kan wanda ya zaɓa a matsayin sakataren harakokin wajensa Antony Blinken, babban mai goyon bayan yarjejeniyar nukiliyar Iran. Ana ganin naɗin Mista Blinken dama ce ga Falasɗinawa. Babban mai adawa ne da matakin Trump na ɗauke ofishin jekadancin Isra'ila daga Tel Aviv zuwa birnin Ƙudus. Ko da yake Biden ya ce ba zai sauya ba. Students of Iran's Basij paramilitary force rallied in front of the foreign ministry in Tehran Jagoran juyin juya halin Iran, Ayatollah Ali Khamenei, ya yi kiran \"hukunci mai tsauri\" ga duk masu hannu a kisan Fakhrizadeh. Shugaban majalisar ƙoli, Mohsen Rezaei, ya ɗora laifin kisan masanin kimiyar ga gazawar tsaro da bayanan sirri. \"Dole hukumomin leƙen asiri su gano masu leƙen asiri na ƙasashen waje, da kuma muƙushe yunkurin kisa,\" in ji shi Iraniyawa da yawa a kafofin sadarwa na Intanet sun ta jefa alamar tambaya kan ta yaya hakan ke faruwa duk da iƙirarin Iran na ƙarfin soji da leƙen asiri, wani zai aikata kisa. Akwai kuma damuwa da ake bayyanawa kan kisan zai iya haddasa kama mutane a cikin ƙasar. Yanzu da gwamnatin Trump ke kan hanyar ficewa, Isra'ila da Saudiyya za su rasa babban amini. Iran kuma na diba yiyuwar janye mata takunkumi a gwamnatin Biden da kuma fatan sake gina tattalin arzikinta. Saboda haka, ba zai kasance tunani mai kyau ba na zaɓar yin ramuwar gayya. Dr Massoumeh Torfeh mai bincike ce a cibiyar nazarin tattalin arziki da ke London (LSE) da kuma cibiyar nazarin al'adun Afrika (SOAS), wadda ƙwararriyar masaniyar siyasar Iran da Afghanistan da Asiya ta tsakiya. Tsohuwar jami'a ce ta Majalisar Ɗinkin Duniya a Afghanistan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55101295", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55103801", "doc1": "তেহরানের কাছে দামাভান্দে যেখানে হামলার ঘটনাস্থল তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো বলছে আততায়ীরা প্রথমে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে এবং তার পর তাকে গুলি করে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির পেছনে প্রধান মাথা বলে মনে করে। এবং মনে করে দেশটির গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে মি ফখরিযাদে মূল ভূমিকা রাখছেন। কূটনীতিকরা তাকে \"ইরানে বোমার জনক\" বলে বর্ণনা করতেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ এই ঘটনাকে \"সন্ত্রাসী কাজ\" বলে বর্ণনা করে ইসরায়েল জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। 'এই কাপুরুষোচিত কাজ - যেখানে ইসরায়েলি ভূমিকার গভীর ইঙ্গিত আছে - প্রমাণ করছে আততায়ীরা যুদ্ধবাজে মরিয়া,'' মি. যারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন। ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই মধ্যে এই হত্যার ঘটনা ঘটল। বেসামরিক খাতে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির জন্য এবং একইসঙ্গে সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি আবশ্যিক উপাদান। ইরান সবসমেয়েই বলে এসেছে তারা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই একমাত্র তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করে। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি বক্তৃতার সময় মি. ফখিরাযাদের নাম বিশেষভাবে উল্লখ করে বলেছিলেন তিনিই ইরানের গোপন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কী ঘটেছে? ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: \"মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফখরিযাদেকে নিয়ে যে গাড়িটি যাচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। \"তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এরপর সংঘর্ষ হয়। এতে মি. ফখরিযাদে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। \"চিকিৎসা কর্মীরা তাকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা ব্যর্থ হন এবং তিনি মারা গেছেন।\" আরও পড়তে পারেন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইসরায়েল আর ইরানের মধ্যে কি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে? কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? হামলার ঘটনায় মি. ফখরিযাদে গুরুতর আহত হন, পরে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান বলে ইরান জানাচ্ছে ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে হামলাকারীরা বিজ্ঞানীর গড়ির ওপর গুলি চালিয়েছে। ফার্স সংবাদসংস্থা তাদের একটি খবরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তারা বলেছিল সেখানে তিন থেকে চারজন হামলাকারী ছিল। যাদের সন্ত্রাসী বলে বলা হয়েছে এবং ফার্সের খবর অনুযায়ী তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ যারিফ এই ঘটনাকে \"সন্ত্রাসী কাজ\" বলে বর্ণনা করেছেন। এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের জড়িত থাকার দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। তিনি আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কাজ বলে নিন্দা করে। ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার বলেছেন এই হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ২০১৫ সালে বিশ্ব পরমাণু চুক্তির অধীনে ইরানকে একমাত্র নাতাঞ্জে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রটি চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয় ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং এইসব হত্যার ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত বলে ইরান অভিযোগ করেছে। কে ছিলেন মোহসিন ফখরিযাদে? মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের সবচেয়ে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান। তিনি ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন। তাকে কূটনীতিকরা \"ইরানে বোমার জনক\" বলে বর্ণনা করতেন। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে তিনি ইরানের খুবই ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান স্তম্ভ। ২০১৮ সালে ইসরায়েল বলেছিল তাদের হাতে যেসব গোপন নথিপত্র এসেছে সেগুলো অনুয়ায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনি প্রধান রূপকার। মি. ফখরিযাদের নেতৃত্বেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেসময় বলেছিলেন \"ওই নামটা মনে রাখবেন\"- তিনি বলেছিলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনিই প্রধান বিজ্ঞানী। ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস তার তুলনা করেছিল জে রবার্ট ওপেনহাইমারের সাথে। মি. ওপেনহাইমার দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ম্যানহাটান প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে প্রকল্পের অধীনে প্রথম আণবিক বোমা তৈরি করা হয়। মি. ফখরিযাদের হত্যার ঘটনা নিয়ে ইসরায়েল এখনও কোন মন্তব্য করেনি।", "doc2": "Natanz ita ce kadai tashar makamashin uranium Iran wadda aka amince ta yi aiki a dokar kasashen duniya kan yarjejeniyar nukiliya ta shekarar 2015 Fakhrizadeh ya mutu ne a asibiti bayan harin da aka kai a Absard da ke yankin Damavand. Minista harkokin wajen Iran Mohammad Javad Zarif, ya tabbatar da kisan wanda ya bayyana a matsayin \"kisan ta'addanci na kasashen waje\". Jami'an leken asirin kasashen Yammacin Duniya na kallon Fakhrizadeh a matsayin mutumin da yake da ruwa da tsaki a shirin Iran na kera makamashin nukiliya. Rahotanni sun ce jami'an difilomasiyya suna bayyana shi a matsayin \"baban bama-baman Iran\". Labarin kisan nasa na zuwa ne a yayin da ake nuna sabuwar fargaba kan yadda Iran take kara samar da makamashin uranium. Samar da karin uranium na da muhimmanci wajen samar da makamashin nukiliya da kuma makamin na nukiliya. Iran ta dage cewa ba wai tana yin shirinta na samar da makamashin nukiliya ba ne domin kai hare-hare. Mene ne ya faru? A sanarwar da ta fitar ranar Juma'a, ma'aikatar tsaron Iran ta ce \" Wasu 'yan ta'adda dauke da makamai sun hari motar da ke dauke da Mohsen Fakhrizadeh, shugaban fannin bincike da tsare-tsare na ma'aikatar.\" \"Bayan dauki ba dadi tsakanin 'yan ta'addan da masu tsaron lafiyarsa, Mr Fakhrizadeh ya samu munanan raunuka inda aka garzaya da shi asibiti. \"Abin takaici shi ne, yunkurin likitoci na ceto rayuwarsa ya ci tura kuma a mintuna kadan da suka wuce ya mutu.\" Kafafen watsa labaran Iran sun ruwaito cewa maharan sun bude wuta kan motar masanin kimiyyar nukiliyar. Tun da farko rahotanni sun ce an samu fashewar wani abu a garin Absard town, abin da ganau suka ce ya yi sanadin mutuwar \"mutum uku ko hudu, wadanda aka ce 'yan ta'adda ne\". Wane ne Mohsen Fakhrizadeh? Fakrizadeh ya ji mummunan rauni a yayin harin inda aka garzaya da shi asibiti kuma a can ya mutu, in ji gwamnatin Iran Fakhrizadeh shi ne fitaccen masanin nukiliyar Iran kuma babban jami'i a rundunar dakarun juyin-juya-hali a kasar. Majiyoyin hukumomin leken asirin Yammacin duniya sun bayyana shi a matsayin mutum mai matukar karfin fada-a-ji wanda kuma shi ne kashin bayan shirin kasar na kera makamai. Wasu takardu n sirri da Isra'ila ta samu a 2018, sun bayyana cewa shi ne ya jagoranci shirin samar da makaman nukiliyar Iran. \"Na tuna wannan sunan,\" a cewar Firaiministan Isra'ila Benjamin Netanyahu a yayin da yake ya tuna sunan Fakhrizedeh a matsayin shugaban da ya jagoranci kera makamashin nukiliyar iran."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50818612", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50820462", "doc1": "দুটি দুর্ঘটনার পর ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে। দুটো বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি অব্যাহত রেখেছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন জানিয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩০০'র বেশি যাত্রী নিহত হয়। বোয়িং আশা করেছিল যে চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমান আবারো উড্ডয়ন করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এটা পরিষ্কার করে বলেছিল যে এতো তাড়াতাড়ি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমানকে পুনরায় সনদ দেয়া হবে না। সিয়াটলে অবস্থিত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক। বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, \"ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে নিরাপদে আকাশে ফিরেয়ে আনার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।\" গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলা হয়েছিল যে ইথিওপিয়ায় প্রথম দুর্ঘটনার পর আরো একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল বিমানের ডিজাইনে যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এর মেয়াদকালে এক ডজনেরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে। কিন্তু তারপরেও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়নি। ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ রাখার কারণে এরই মধ্যে সংস্থাটি নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সোমবার বোয়িং-এর শেয়ারের দাম ৪% পর্যন্ত পড়ে গেছে। বোয়িং বলছে, তাদের কাছে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের ৪০০ উড়োজাহাজ জমা রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে দেবার বিষয়টিতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে। বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বোয়িং-এর কাছে অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ক্রেতাদের কাছে সেসব উড়োজাহাজ তুলে দেয়া হয়নি, কারণ বোয়িং-এর প্রকৌশলীরা ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজের সফটওয়্যার ঠিক করছেন। আরো পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড: নজর শুধু গার্মেন্টসে, বাকি সব উপেক্ষিত বিক্ষোভের জন্য মুসলিমদের প্রতি ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদির পিজ্জা খাবার পর ক্যালোরি কমাতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে? নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম", "doc2": "A baya Beoing ya cigaba da kera jiragen 737 Max, bayan dakatar da tashin jiragen na tsawo wata tara, sakamakon wasu munanan hadura da jiragen suka yi. Akalla mutum 300 ne suka mutu a hadarin da wasu jiragen Beoing 737 Max suka yi a Indonesia da Ethiopia sakamon wata sabuwar matsala. Kamfanin ya yi fatan ci gaba da kera samfurin jiragen a karshen shekarar nan ta 2019. Hukumar kula da sufurin jiragen sama ta Amurka ta sheda wa Boeing cewa ba za a yi sauri wurin ba wa jiragen izinin fara tashi ba. Boeing wanda ke daga cikin kamfanonin Amurka da ke fitar da kaya zuwa kasuwannin duniya, ya ce ba zai sallami ma'aikatansa da ke da alaka da jiragen 737 Max. Sai dai da alama dakatar da jiragen na iya yin tasiri a kan dillalai da ma tattalin arzikin kasar. Me ya samu jiragen 737 Max? A makon jiya ne aka sheda wa majalisar dokokin Amurka cewa bayan hadarin 737 Max a Indonesia a 2018, hukumomin kula da sufurin jiragen saman Amurka na da masaniyar cewa akwai barazanar samuwar karin hadarin jiragen a nan gaba. Kwararrun hukumar sun yi hasashen yiwuwar samun gomman haduran jiragen, matukar ba'a yi wa taswirar jiragen gyare-gyare ba. Amma duk da haka ba'a dakatar da 737 Max daga tashi ba, sai bayan hadarin jirgin na biyu a Ethiopia a watan Maris na 2019. Boeing na sauya taswirar na'urar da ke sarrafa kanta a jirgin, wadda ake gani ita ce ke haifar da matsalar. Kamfanin ya ce yana da jiragen 737 Max guda 400 a rumbun ajiyarsa, kuma zai mayar da hankali wajen mika jiragen ga wadanda suka saye su. Yayin da wasu kamfanoni sun riga sun yi odar jiragen, Boeing ta dakatar da mika masu jiragen har sai injiniyoyinta sun kammala gyara a kan manhajar jiragen. Yaya ake gani? Mai sharhi a kan masana'atu Henry Harteveldt ya ce ba'a taba ganin irin matakin na dakatar da kera 737 Max ba. Yana kuma iya yin \"tasiri sosai a kan Boeing mai kera jiragen, da masu dillanci da kuma kamfanonin sufurin jiragen sama\". \"Tabbas za ta haifar da rudani ga kamfonin jirgin sama da ke da hannu a ciki da kuma kimanin kamfani 600 da ke harkar sayar da 737 Max da kamfanin Boeing kansa\". Tuni dakatar da 737 Max ya riga ya sa Boeing asarar kusan dala biliyan tara. Ranar Litinin, hannun jarin Boeing ya karye da kashi hudu cikin dari, bayan hasashen dakatar da kera jiragen. An dakatar da jiragen Boeing 737 Max daga tashi Ana sa ran dakararwar za ta yi tasiri a kasuwar jirage ta duniya. Mai sharhi kan harkokin jiragen sama na Teal Group Richard Aboulafia, ya kwatanta matakin da Boeing ya dauka a matsayin mara dadi. Ya ce da Boeing ya mika musu jiragensu, ko kuma ya mayar masu da kudadensu har sai an yarje wa jiragen su rika tashi. Kamfanonin jiragen sama na Amurka sun fi amfani da 737 Max, duk da cewa ana amfani da jiragen a sassan duniya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53312067", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53299743", "doc1": "কর্মক্ষেত্রে কি মেয়েরা আবারও পিছিয়ে পড়বে এই মহামারির কারণে? মিজ রামোস বেশ উচ্চপদে কাজ করেন। একটি আন্তর্জাতিক ইনস্যুরেন্স গ্রুপের রিস্ক ম্যানেজার। তিনি বলেন, ইনস্যুরেন্স ব্যবসায় পুরুষদেরই প্রাধান্য। কাজেই এরকম একটি সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে তাকে ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে শক্ত হতে হয়েছে এবং প্রতিদিন সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, “কর্মজীবনের একেবারে শুরুতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমাকে অনেক দেরিতে অফিস থেকে বেরুতে হবে, আমাকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে, আমাকে পুরুষদের তুলনায় তিনগুণ বেশি চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যোগ্য প্রমাণের জন্য।” মিজ রামোজ ব্রাজিলের এসোসিয়েশন অব উইমেন ইন ইনস্যুরেন্স মার্কেট নামের একটি সংস্থার উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি একটি বই লিখছেন, যেটি অক্টোবরে প্রকাশিত হবে। কম বয়সী মেয়েদের প্রতি তার উপদেশ হচ্ছে: কেউ যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, মনোযোগী হন এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন, তাহলে তিনি অবশ্যই শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। তবে আরও অনেক বিশেষজ্ঞের মতো, তিনিও উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন, এই মহামারীর সময় নারীর কেরিয়ারের ওপর যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে, সেটি তাদের আবার পেছনে ঠেলে দিতে পারে। দ্বিতীয় শিফট অফিসের কাজ সামলানোর পাশাপাশি ঘরের কাজও সামলাতে হয় মেয়েদের। যেসব পরিবারে বাবা-মা‌ দুজনকেই এখন ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ঘরেই ছেলে-মেয়েদের স্কুলের পাঠ দিতে হচ্ছে, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে দেখাশোনা করতে হচ্ছে, সেখানে পরিস্থিতি আসলেই বেশ কঠিন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, যে কাজের জন্য কোন পারিশ্রমিক মেলে না, সেরকম কাজের তিন চতুর্থাংশ এখনো মেয়েদেরই করতে হয়। “শিশুদের যত্ন এবং গৃহস্থালি কাজের বড় বোঝাটা যে এখনো মায়েদেরকেই টানতে হয়, এটা তো কোন গোপন ব্যাপার নয়‍”, বলছেন মামসনেট বলে একটি ব্রিটিশ অনলাইন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জাস্টিন রবার্টস। তাঁর মতে, এই বাস্তবতা নারীর ওপর আরও চাপ তৈরি করছে। \"মায়েদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তাটা কাজ করছে তা হলো- তারা সাধারণত যতটা ভালোভাবে কাজ করতে পারে, ততটা ভালোভাবে তারা করতে পারছে না, ফলে তারা ছাঁটাই হতে পারে বা সমস্যায় পড়তে পারে এমন আশংকা তৈরি হয়েছে।” “আর তাদের চাকরি বা আয় যদি নিরাপদও থাকে, অনেকে বলছে এভাবে তারা বেশিদিন চালিয়ে নিতে পারবেন না।” খুব কম সংসারেই নারী-পুরুষকে সমানভাবে গৃহস্থালি কাজের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়। মিস রামোস বলেন, মেয়েরা কর্ম ক্ষেত্রে তাদের কাজ শেষ করার পর বাসায় ফিরে তাদের কিন্তু সাধারণত দ্বিতীয় একটা শিফট শুরু করতে হয়। তিনি বলছেন, যত নারীকে তিনি চেনেন তাদের সবাইকে এখন এই দুইটা শিফটকে একসঙ্গে চালাতে হচ্ছে এবং এর ফলে তাদের উপর একটা বিরাট বড় মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। অনেকে এমনকি এই মহামারির সময় তাদের কাজ ছেড়ে দেয়ার কথা পর্যন্ত ভাবছেন। সেকেলে কর্মক্ষেত্র অ্যালিসন জিমারম্যান হচ্ছেন ক্যাটালিস্ট নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিও পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠানটি বড় বড় কর্পোরেশনের সঙ্গে মিলে কাজ করছে যাতে মেয়েদের জন্য কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ আরও ভালো করা যায়। তিনি বলছেন “আমাদেরকে আসলে খুব গভীরভাবে ভাবতে হবে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অভিজ্ঞতা আসলে কি।” “এই পুরো সিস্টেমটা আসলে খুব বেশি সেকেলে এবং যখন আপনি জিনিসটা একটু ভালোভাবে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, কর্পোরেশনগুলোর আসলে উচিত নিজেদের স্বার্থেই কর্মক্ষেত্রে একটা নতুন স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করা।” ক্যাটালিস্ট বহু বছর ধরে দশ হাজার এমবিএ গ্রাজুয়েটের কেরিয়ার পর্যবেক্ষণ করছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই আছে। এরা পাস করে বেরিয়েছে এশিয়া, কানাডা, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব নামকরা বিজনেস স্কুল থেকে। এক মর্কিন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোম্পানি বিপদে পড়লে শেয়ার হোল্ডাররা নারী পরিচালকের ওপর ভরসা করতে পারেন না। এই গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক অপশনের অভাবে মেয়েদের ক্যারিয়ার কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তারা মা হওয়ার পর। তবে এর বাইরেও অনেক সুপ্ত বৈষম্য রয়েছে যেগুলো মেয়েদের কেরিয়ারের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়, তাদের সন্তান থাক বা না থাক তাতে কিছু আসে যায় না। যেমন ক্যাটালিস্ট এর গবেষণায় দেখা গেছে যে, এমবিএ পাশ করে বেরোনোর পর প্রথম চাকরিতে মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় অনেক নিচের স্তর থেকে শুরু করে। আর পুরুষরা যখন অফিসে অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করে সেটা তাদের কেরিয়ারে সহায়ক হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সেটা ঘটে না। যখন কোন পুরুষ গ্রাজুয়েট তার চাকরি বদল করে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়, সাথে সাথে তার বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় এটি ঘটে না ।তাদেরকে আগে ম্যানেজারের কাছে প্রমাণ করতে হয় যে তারা এর যোগ্য। মিজ জিমারম্যান বলেন, মেয়েদেরকে প্রতিনিয়ত তাদের দক্ষতা বাড়াতে হয়। আর পুরুষদেরকে কেবলমাত্র তাদের সম্ভাবনা দেখেই প্রমোশন দিয়ে দেয়া হয়। এরকম একটা ধারণা বাইরে প্রচলিত যে পুরুষরা যা করছে ঠিক সেটাই যদি মেয়েদের করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, সেটা একটা বিরাট অগ্রগতি। কিন্তু বাস্তব সত্য আসলে তা নয়। মেয়েদের বেলায় অনেক বেশি উচ্চ মানের কাজ আশা করা হয় পুরুষদের তুলনায় এবং এটা এক ধরনের বৈষম্য। অর্থনৈতিক সংকটে পরিস্থিতি আরও জটিল কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে পারে যেসব কোম্পানি তারাই সফল হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই ধরনের বৈষম্য আরও জোরালো-ভাবে ফিরে আসছে। একটি প্রকাশিতব্য গবেষণায় বলা হচ্ছে মেয়েরা যখন বড় বড় কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় যোগ দিতে যাচ্ছে তখন এটা আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানি এখন অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই গবেষণায় ২০০৩ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের নির্বাচন বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন, যখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলে, তখন শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণত নারীদের নিয়ে খুশি থাকেন। কিন্তু যখন কোম্পানিগুলো সংকটে পড়ে তখন তারা বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় মেয়েদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত থাকেন এবং তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরকম পরিস্থিতিতে পুরুষদের কাছে যে ধরনের দক্ষতা আশা করা হয় মেয়েদের বেলায় প্রত্যাশা তার চাইতে অনেক বেশি। এর ফলে অনেক মেয়ে কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক কোরিন পোস্ট বিবিসিকে বলেন, “এটার অন্য কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এর একমাত্র ব্যাখ্যা হচ্ছে বৈষম্য।” ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্জুন মিত্র বলেন, অনেক কোম্পানি তাদের মেধাবী নারীকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করছে না বা অবমূল্যায়ন করছে। অথচ এসব কোম্পানি এই নারী নেতৃত্ব থেকে লাভবান হতে পারত। নিম্নআয়ের নারীদের উপর প্রভাব গত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিরাট বড় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যে বৈষম্য সেটা পুরোপুরি মোচন করতে গেলে আরও অন্তত এক শতাব্দীর সময় লাগবে বলে বলছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। নিম্নআয়ের নারীদের বেলায় এই বৈষম্য এখনই চোখে পড়তে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তাতে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি কাজ হারিয়েছেন। কারণ এই সংকট সেই সব সেক্টরেই আসলে বেশি প্রভাব ফেলছে, যেখানে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেশি। যেমন, হসপিটালিটি, খাদ্য এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। যেমন সেন্ট্রাল আমেরিকায় ৫৯ শতাংশ নারী এসব সেক্টরে কাজ করেন। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪৯ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকায় ৪৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের মধ্যে বেকারত্বের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। এর আগের সংকট গুলোতে দেখা গেছে যখন মেয়েরা তাদের কাজ হারায় তখন তাদেরকে অনেক বেশি করে পারিশ্রমিকবিহীন সেবা কাজে সময় দিতে হয়। যেহেতু এরকম সংকটের সময় কাজ পাওয়া খুব কঠিন, তখন যে সমস্ত কাজ পাওয়া যায় সেগুলোতে মেয়েদের নেয়া হয়না। পুরুষরা সেগুলো পায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা একথা বলছে। অনেক দেশে এরকম দৃষ্টিভঙ্গি খুব জোরালো যে, কাজ পাওয়ার বেলায় মেয়েদের চাইতে পুরুষদেরই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ৩৪টি দেশে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এ কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার। লোকজনকে এই জরিপে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের সময় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশি অধিকার থাকা উচিত কিনা। ভারত এবং তিউনিসিয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আর তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনস এবং নাইজেরিয়ায় ৭০ শতাংশ এই মত সমর্থন করেছেন। কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা একই কথা বলেছেন। আর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোতে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি লোক একই কথা বলেছেন। এই জরিপে বিশ্বজুড়ে এ ধরনের মত সমর্থন করেছেন গড়ে ৪০ ভাগ উত্তরদাতা। জুলিয়ানা হরোউইটয হচ্ছেন পিউ রিসার্চ সেন্টারের একজন অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর। তিনি বলেন, যেসব দেশে লোকজন মুখে বলে যে তারা লিঙ্গসমতা সমর্থন করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর তুলনায় পুরুষদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ, সেসব দেশে এটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব আছে। তিনি বলেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশগুলো যখন চেষ্টা করছে, তখন এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে। এক কদম পিছিয়ে দুই কদম সামনে কিন্তু এসবের প্রভাব যাই হোক, এক সময় এই মহামারি কেটে যাবে এবং মিজ রামোস বিশ্বাস করেন এটি এক নতুন বাস্তবতার পথ খুলে দেবে, যার সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে। লুসিয়ানা ব্যারোস একটি এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানীর প্রধান নির্বাহি, যাদের পোর্টফলিও হচ্ছে একশো কোটি ডলারের বেশি। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো এক ধাপ পিছিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে যাব।” তিনি বলেন, নারীরা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন তাদের কেরিয়ারের ব্যাপারে। তার মতে, লিঙ্গ সমতার সংগ্রাম এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তিনি বিশ্বাস করেন মহামারি পরবর্তী কাজের বাজারে নিজেদের কেরিয়ায় আঁকড়ে থাকার জন্য মেয়েদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে তিনি প্রশ্ন তুলছেন, যেসব কোম্পানিতে এই মেয়েরা কাজ করেন, তারা তাদের এই মেধাকে কতটা মূল্য দেয়। এই কথার সঙ্গে একমত মিজ জিমারম্যান। নতুন পাস করে বেরুনো বিজনেস গ্রাজুয়েট মেয়েদের তিনি পরামর্শ দেন, কোন কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার আগে সেটির শীর্ষ পদে কি ঘটছে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য। “যখন আপনি চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনি কিন্তু একটা নিখুঁত প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন না। আপনি অগ্রগতির সুযোগ খুঁজছেন। আপনি যদি দেখেন যে কোন কোম্পানির নেতৃত্ব পর্যায়ে আপনার প্রতিনিধিত্ব করার কোন সুযোগ নেই এবং যদি দেখেন যে কোন কোম্পানি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে না, তখন আমি হলে সেই কোম্পানিতে যোগ না দিয়ে অন্য কোথাও কাজ খুঁজবো।”", "doc2": "Ma'aikata da dama suna fargabar yiwuwar korarsu daga aiki saboda watakila wuraren da suke aiki ba su gamsu da yadda suke yinsa ba Ms Ramos wadda babbar manaja ce a wani kamfanin inshora ta bayyana cewa a matsayinta na shugaba kuma mace a kamfanin da maza ke da rinjaye, hakan ya tilasta mata take ƙara ƙaimi a wurin aiki a kullum. \"A farkon lokacin da na fara aiki, na yi tunanin cewa zan bar aikin nan gaba, Ina da buƙatar na ƙaro ilimi, Ina da buƙatar na nuna cewa na fi duk wani namiji ninki uku,\" in ji Ms Ramos a wata tattaunawa da BBC. Ms Ramos ta kasance mai bayar da shawara ga ƙungiyar mata da ke aiki a kamfanonin inshora a Brazil kuma za ta wallafa littafi kan irin wannan lamari a watan Oktoba. Tana yawan bayar da shawara ga mata masu tasowa kan cewa za su iya cin nasara a rayuwa idan suka \"mayar da hankali tare da sa kai da ƙoƙarin cimma burinsu\". Amma kamar sauran masana, ta damu ƙwarai kan ƙara takura wa mata masu aiki da ake yi a lokacin wannan annobar - kuma ko wannan zai iya ƙara mayar musu da hannun agogo baya. \"Yin aiki iri biyu a lokaci ɗaya\" Masu sanya ido na ganin matan aure da ke aiki na fuskantar barazana Lamarin ya fi ƙamari ne a gidajen da iyaye ke ƙoƙarin yin aiki daga gida, kuma a daidai lokacin ne suke ƙoƙarin taimaka wa 'ya'yansu karatu daga gida ko kuma 'yan uwansu. Kamar yadda ƙungiyar ƙwadago ta duniya wato ILO ta bayyana, mata ne dai ke ɗaukar duk wani nauyi na watanni tara wanda ba tare da an biya su ba. \"Ba wai a ɓoye yake ba cewa mata ne ke ɗaukar duk wani nauyi na lura da yara da yin ayyukan gida a gidaje da dama,\" in ji Justine Roberts, shugabar shafin intanet na Mumsnet, wanda shi ne shafi mafi girma da ke bayar da shawarwari ga iyaye a Birtaniya. Ms Roberts ta bayyana cewa irin haka ne ke saka wa kullum ake hura wa mata wuta a ƙarshe sai a bar su cikin damuwa da wahala. \"Iyaye mata na damuwa kan cewa suna fuskantar barazanar kora, ko kuma samun matsaloli a wuraren aiki sakamakon sun kasa taɓuka wani abin kirki a wurin aiki kamar yadda suka saba,\" in ji Ms Roberts. \"Ko da matan suna ganin cewa aikin da suke yi ba su samun wata matsala, da dama na ganin cewa ba za su iya ɗorewa kan haka ba na tsawon lokaci.\" Simone Ramos ta ce mata suna kokarin nunka aikinsu yayin da wasu suke tunanin barin aikin baki daya A cewarta, \"akasarin mata na ƙoƙarin yin aiki iri biyu a lokaci ɗaya\" - wasu kuma damuwa da matsalar kwakwalwa na saka su su rinƙa ji kamar za su bar aikin, ko kuma ma barin aikin a irin wannan lokaci na annoba. Babu wani ci gaba a wurin aiki \"Ya kamata mu tsaya mu duba halin da mata suke ciki da kuma abubuwan da suke fuskanta a wuraren aiki,\" in ji Allyson Zimmermann, darakta a wata ƙungiya mai zaman kanta ta Catalyst da ke taimaka wa mata su ci gaba a wuraren aiki. Ƙungiyar Catalyst ta shafe shekaru tana bin diddiƙin waɗanda suka yi digiri na biyu har mutum 10,000 matra da maza daga manyan jami'o'i 26 a Asia da Canada da Turai da kuma Amurka. A bincikensu, sun gano yadda rashin ayyuka da za su ba su damar sakewa ke da illa a garesu da zarar sun haihu. Amma akwai wasu abubuwan son rai da suke a bayyane da ke janyo rashin ci gaba ga mata, ko da kuwa suna da ƙarewa ko suna da yara ko babu. Misali, akasarin mata a binciken da Catalyst suka yi ya nuna cewa akwai yiwuwar su fara aiki a ƙaramin mataki bayan sun yi digirinsu na biyu. Kuma idan maza na aiki na sa'o'i fiye da mata, hakan na taimakonsu a wurin aiki amma ba ga mata ba. Maza waɗanda ke da digiri na samun ƙarin albashi da zarar sun sauya wurin aiki, sai dai albashin mata na ƙaruwa ne kaɗai bayan sun nuna cewa suna da hazaƙa ga manajojinsu. \"Dole mata sai sun ƙara matsa ƙaimi wurin aiki amma maza ana musu ƙarin girma idan suna aikinsu,\" in ji Ms Zimmermann. \"Akwai wannan tunanin da ake yi kan cewa idan mata na yin irin abin da maza ke yi, za su wuce su. Gaskiya ba haka ba ne,\" a cewarta. Matsin tattalin arziƙi na ƙara ba su wahala Wani sabon bincike da aka yi a Amurka ya nuna cewa irin wannan tunanin na son rai zai iya tasowa lokacin da ake wahalar tattalin arziƙi. Wani bincike da aka yi ya nuna cewa mata na ƙoƙarin neman manyan muƙamai a kamfanoni - manyan daraktocin kamfanoni na shan wuya a lokacin da kamfanoni ke cikin wani hali. Bayan wani bincike da aka gudanar a kamfanoni 1,100 tsakanin 2003 zuwa 2015, binciken ya gano cewa masu son zuba hannun jari na yawan bayar da goyon baya ga daraktoci mata idan abubuwa na tafiya daidai. Sai dai kuma idan aka samu matsala a kamfanin, akwai yiwuwar za su daina goyon bayan da suke yi ga matan. Corinne Post, daga Jami'ar Lehigh da ke jihar Pennsylvania ta Amurka, ta shaida wa BBC cewa: “Yana da matukar wahala a samu wasu dalilai idan ba na son kai da ake nunawa kan jajircewar mata a wurin aiki, ko kuma shin suna aiki kamar yadda ya kamata.”"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56239934", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56234794", "doc1": "সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডাতে রক্ষণশীলদের এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম কোথাও ভাষণ দিলেন মি. ট্রাম্প যাতে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এখন \"সবার আগের পরিবর্তে সবার শেষে চলে গেছে।\" অরল্যান্ডোতে রবিবার কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স সিপিএসির সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন তা থেকে বোঝা যায় রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে এখনও তার প্রভাব রয়েছে। এই সম্মেলনকে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের একটি প্রভাবশালী সমাবেশ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং রিপাবলিকান পার্টির দিক নির্দেশনার বিষয়ে এটিকে বিবেচনা করা হয় ব্যারোমিটার হিসেবে। ১৯৭৪ সাল থেকে এই সম্মেলনটি হয়ে আসছে। সম্মেলনের পরিবেশ ছিল পুরোপুরি ট্রাম্পপন্থী। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে আরো যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন টেক্সাসের সেনেটর টেড ক্রুজ এবং মি. ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে এখনও নিষিদ্ধ মি. ট্রাম্প। জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলার এসব প্ল্যাটফর্ম তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি ফ্লোরিডাতে তার গল্ফ কোর্সের রিসোর্টে বসবাস করছেন। আরো পড়তে পারেন: দাঙ্গার আগে দেয়া বক্তব্য 'সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য' - ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় 'উস্কানি' দেয়ায় আবারো অভিশংসিত ট্রাম্প ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কয়েকজন সমর্থক। কী বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? চুয়াত্তর বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট যখন ভাষণ দিতে মঞ্চে আরোহণ করেন তখন তার সমর্থকরা চিৎকার করে তাকে স্বাগত জানায়। এসময় অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। \"আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি এটা ঘোষণা করতে যে চার বছর আগে আমরা সবাই মিলে যে অবিশ্বাস্য যাত্রা শুরু করেছিলাম সেটা এখনও শেষ হয়ে যায়নি,\" বলেন তিনি। \"আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ, আমাদের দলের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের প্রিয় দেশের ভবিষ্যৎ।\" নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে যেসব কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল সেগুলোকে তিনি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, \"এসব ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর।\" এর পর তিনি কৌতুক করে বলেন, \"এটা কি দারুণ ঘটনা হবে না? চলুন আমরা নতুন একটা দল করি যাতে আমাদের ভোট বিভক্ত হয়ে যায় এবং আমরা আর কখনো জিততে পারব না।\" \"আমাদের আছে রিপাবলিকান পার্টি। এই দলটি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি একতাবদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে,\" বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া এবং ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেও মি. ট্রাম্প তার ভোটারদের কাছে এখনও প্রচণ্ড জনপ্রিয়। গত সপ্তাহে তার ভোটারদের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়েছে এবং তাতে দেখা গেছে তিনি যদি রিপাবলিকান পার্টি ছেড়ে একটি নতুন দল গঠন করেন, সমর্থকদের ৪৬% তাকেই ভোট দেবেন। সিপিএসি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণেও তিনি দাবি করেন যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের কারণে তিনি ডেমোক্র্যাটসদের কাছে হেরে গেছেন। এসময় তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন। বলেন, \"কে জানে আমি তাদেরকে তৃতীয়বারের মতো পরাজিত করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি।\" প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি বাইডেন প্রশাসন খারাপ করবে কিন্তু তারা কতটা খারাপ করবে আমাদের কেউ সেটা কল্পনা করতে পারবে না।\" রক্ষণশীলদের অনেকেই এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমর্থক। রাজনীতিতে ফিরলেন ট্রাম্প? যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির একজন বিশ্লেষক অ্যান্থনি জুর্কার বলেন, এক মাস দৃশ্যপটের বাইরে থাকার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে এসেছেন। আর এজন্য তিনি এই সম্মেলনকেই বেছে নিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আভাস দিলে সম্মেলনে উপস্থিত সবাই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান। অ্যান্থনি জুর্কার বলেন, \"রিপাবলিকান দলের ভেতরে তার প্রভাব অটুট আছে তবে আরো একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি তার এই প্রভাব কতটা কাজে লাগাতে পারবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।\" মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রিপাবলিকান আইন-প্রনেতারা মোটামুটি তার প্রতি অনুগত ছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে ১০ জন তাকে অভিশংসিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর সেনেটে বিচার চলাকালে সাতজন ভোট দিয়েছেন তাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য। কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল সাবেক প্রেসিডেন্টের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন এবং বিচারে খালাস পাওয়ার পর ক্যাপিটল হিলের সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মি. ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে তিনি ভোট দিয়েছেন। এর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মি. ম্যাককনেলের সমালোচনা করে তাকে \"একগুঁয়ে, গোমড়া-মুখো\" বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পকে কিভাবে মনে রাখবে আমেরিকার মানুষ?", "doc2": "Wannan ne karon farko da Donald Trump ya yi jawabi tun bayan da ya bar fadar White House Ya sanar da wannan matakin ne a wani taron siyasa da ya halarta a Jihar Florida, wanda wannan ne karon farko da ya yi jawabi a bainar jama'a tun bayan da Joe Biden ya kayar da shi a zaben shugaban kasa. Ya kuma yi shagube cewa zai sake tsayawa takara a zaben 2024. Mista Trump ya kuma soki Shugaba Biden, yana cewa ya mayar da Amurka daga matsayin farko zuwa matsayi na karshe. Wasu magoya bayan Mista Trump a wajen taron sun rika sowa suna yaba wa Mista Trump Yawancin wadanda su ka halarci taron da aka fara tun ranar Alhamis sun kasance magoya bayan Mista Trump ne, kuma masu goyon bayan nasa kamar Ted Cruz, dan majalisar dattawa da dansa Donald Trump Jr na cikin wadanda su ka yi jawabi ga mahalarta taron. An dai kori tsohon shugaban daga dandalin sada zumunta, ciki har da na Twitter da na Facebook saboda matakan da ya dauka na tunzura magoya bayansa su kai wa majalisar kasar at Amurka hari. Tun bayan da aka kayar da shi, tsoho shugaban ya koma zama a wani gidansa da ke Mar-a-Lago a Jihar Florida. A wajen taron an rika sayar da kayayyaki, ciki har da wannan mutum-mutumin na tsohon shugaban"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45779583", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/46755743", "doc1": "ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির অর্ন্তধানের প্রতিবাদ করছেন ইয়েমেনের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তাওয়াকুল কারমান। এখনও অবশ্য তুরস্কের কর্তৃপক্ষ কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তবে ইস্তাম্বুলে বিবিসির মার্ক লোয়েন বলছেন, কোনো ভিত্তি ছাড়া এই ধরণের 'বোমা-ফাটানো' অভিযোগ তুরস্ক করবে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন তিনি নিজে এই ঘটনার তদন্তের ওপর নজর রাখছেন, ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন। এমনিতেই কাতার, মুসলিম ব্রাদারহুড, ইরান, ইয়েমেন প্রশ্নে মুসলিম বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি সৌদি আরব এবং তুরস্কের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এখন যদি সত্যিই তুরস্ক প্রমাণ হাজির করতে পারে যে জামাল খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে, তাহলে রিয়াদ-আঙ্কারা সম্পর্কের ওপর তার পরিণতি নিয়ে পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ইস্তুাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের বাইরে নিখোঁজ জামাল খাসোগির হবু স্ত্রী হাতিস বিবিসির মার্ক লোয়েন বলছেন, হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক 'স্মরণকালের মধ্যে' সবচেয়ে মারাত্মক মোড় নেবে। ক্যানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেসমা মোমানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন সৌদি-তুরস্ক সম্পর্কে মারাত্মক সঙ্কট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। \"তুরস্ক বলবে তাদের মাটিতে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড তাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মান।\" পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তদন্তে তুরস্কের অভিযোগ প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও তাদের মিত্র সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি প্রশ্নাতীত সমর্থন অব্যাহত রাখা কঠিন হবে। বেসমা মোমানি বলছেন, \"ওয়াশিংটনে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে পরিণতি চিন্তা না করেই মোহামেদ বিন সালমান অনেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ক্যানাডার সাথে ঝগড়া, সাদ হারিরিকে (লেবাননের প্রধানমন্ত্রী) জোর করে আটকে রাখা - এসব ঘটনা নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।\" ইস্তাম্বুলের সাংবাদিক হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হলে মোহামেদ বিন সালমান সম্পর্কে সেই ধারণা ওয়াশিংটনে আরো প্রতিষ্ঠিত হবে। ইস্তুাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক জেমস ডর্সিও বলছেন জামাল খাসোগির অন্তর্ধান সৌদি-তুরস্ক সম্পর্কে বড় ধরণের অবনতি হবে। \"ইরান, কাতার, মুসলিম ব্রাদারহুড- এমন অনেক ইস্যুতে তাদের মতভেদ রয়েছে। সেই মতভেদ বাড়বে...তুরস্ক যদি প্রমাণ করতে পারে যে খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিণতি হবে সুদূরপ্রসারী।\" তবে সৌদি আরব বলছে, সাংবাদিক খাসোগিকে তারা হত্যা করেনি। ওয়াশিংটনে সৌদি পন্থী গবেষণা সংস্থা অ্যারাবিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলী শিহাবি বলেছেন, আগে থেকেই কোনো উপসংহারে পৌঁছানো ঠিক হবেনা। \"কেন একটি সরকার তাদের কোনো সমালোচককে তারই কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করতে যাবে? তাছাড়া তুরস্ক কোনো নিরপেক্ষ পক্ষ নয়, পুরো গল্পের মধ্যে বিরাট ফাঁক রয়ে যাচ্ছে।\" জামাল খাসোগিকে আটকে রাখা হয়নি - এটা প্রমাণ করতে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় রয়টরস বার্তা সংস্থার একজন সাংবাদিককে ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। তবে যেদিন মি. খাসোগি সেখানে ঢুকেছিলেন সেদিনের সিসিটিভির কোনো রেকর্ড নেই। যান্ত্রিক গোলযোগের যুক্তি দেখানো হয়েছে।", "doc2": "Marigayi Khashoggi ya yi fice wjen sukar salon mulkin msarautar Saudiyya Rahotanni sun ce mutane 11 da ake zargi da hannu a kisan sun bayyana a wat kotu da ke birnin birnin kasar wato Riyadh. Masu shigar da kara dai sun bukaci kotu ta yankewa 5 daga cikin mutanen hukuncin kisa. A ranar 2 ga watan Okobar bara ne aka kashe dan jarida Khashoggi, a lokacin da ya je ofishin diflomasiyyar Saudiyya dan karbar takardun shaidar rabuwa da tsohuwr mtarsa wand hakn zai bashi damar auren wata mace 'yar asalin Turkiyya. Masu shigar da karar sun ce, wata hatsaniya ce ta hada shi da mutanen da ke masa tambayoyi da kuma suke kokarin rarrashinsa ya koma gida Saudiyya anan ne kuma aka kashe shi. Hukumomin Saudiyyar dai sun ki amincewa da bukatar shugaba Racep Tayyep Erdogan na Turkiyya, na tasa keyar mutane 18 da ake zargi da aikata kisan kasarta dan su fuskanci hukunci, ciki har da mutane 15 da akai zargin sun yo takakkiya zuwa birnin Santambul musamman dan aikata kisan. Ministan harkokin wajen kasar Saudiyya Adel al-Jubeir ya yi watsi da bukatar inda ya nanata ba za su mika 'yan kasarsu ba. Kafar yada labaran Saudiyya ba ta yi cikakken bayani kan yadda zaman kotun ya gudana ba, baya g cewa wadnda ke zrgi da lauyoyinsu sun bayyana gaban kuliya. Sai dai kuma ana nuna shakku kan ko mutane 15 da hotunan bidiyo na CCTV a filin jirgin sama na birnin Santambul ya dauka, da kuma gwamnatin kasar ta bada sunayensu na daga cikin wadanda aka gurfanar gban shari'ar. Lauyoyin sun bukaci a ba su shaidun da ke da su da ba su isasshen lokcin yin nazari, dan haka ba a bayyana ranar da za a ci gaba da sauraren shari'ar ba. Kamfanin dillancin labaran kasar PA ya rawaito cewa ministan shari'ar kasar Shaikh Su'ood bin Abdullah Al Mo'jab bai amince da bukatar da gwamnatin Turkiyya ta shigr na sanin shaidun da suke da su a kan kisan Khashoggi ba. Tun da fari wata sanarwa da ma'aikatar shari'ar Saudiyya ta fitar, ta sanar da karin mutane 10 da ake gudnar da bincike akan su duk dai kan zargin hannu a kisan. Tun bayan kisan dan jaridar ake nuna yatsa kan yarima mai jiran gado Muhammad bin Salma, wadanda Turkiyya ke so a mika mata sun hada da Saud al-Qahtani da Ahmad al-Asiri manyan na hannun damar yariman da kuma aka sallama daga bakin aiki bayan aikata kisan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49626941", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/49624413", "doc1": "তালেবানের গাড়ি বোমা হামলায় কাবুলের এই সুরক্ষিত এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকরা তালেবানের সাথে একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন । কিন্তু এর মধ্যেই তালেবান স্বীকার করে যে, কাবুলে গত বৃহস্পতিবার যে আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্য সহ ১২ জন নিহত হয় - সেটি তারাই চালিয়েছে। এর পরই টুইটারে বার্তা দিয়ে মি. ট্রাম্প বলেন, তার সাথে রোববারই ক্যাম্প ডেভিডে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সাথে এক গোপন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ হামলার পর তিনি তা বাতিল করে দিয়েছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও বলেছেন, তালেবানকে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। গত এক বছর ধরেই মার্কিন আলোচকদের সাথে তালেবানের শান্তি আলোচনা চলছিল। আফগান সরকারকে বাইরে রেখেই তালেবানের সাথে ওই আলোচনা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র - কারণ প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে তালেবান 'আমেরিকার হাতের পুতুল' বলে মনে করে। গত সপ্তাহেই একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে দু'পক্ষের আলোচকরা একমতও হয়েছিলেন । মনে করা হচ্ছিল যে দু'পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। কিন্তু এখন তা আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। কাতারে তালেবানের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় যোগদান করছেন। বিবিসিতে আরও খবর: স্কুল শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের টাকা কীভাবে দেয়া হবে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ কতটা? 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' গত বৃহস্পতিবার কাবুলে তালেবানের চালানো এক গাড়ি বোমা আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্যসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। মি. ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লেখেন, রোববার ক্যাম্প ডেভিডে তার সাথে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও ঊর্ধ্বতন তালেবান নেতৃবৃন্দের এক গোপন বৈঠক হবার কথা। কিন্তু তালেবান ওই আক্রমণে চালানোর কথা স্বীকার করার পর সাথে সাথে তিনি ওই বৈঠক বাতিল এবং শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন। দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য তারা এক জরুরি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। অবশ্য শান্তি আলোচনা যখন চলছিল তখনও তালেবান আফগান ও বিদেশি সৈন্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো বন্ধ করে নি। জালমে খলিলজাদ, আফগানিস্তানের জন্য বিশেষ মার্কিন দূত। ঐ শান্তি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫,৪০০ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতো। আফগানিস্তানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪,০০০ সৈন্য রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটের পর আশরাফ ঘানি বলেছেন, সত্যিকারের শান্তি তখনই সম্ভব যখন তালেবান যুদ্ধ বন্ধ করবে এবং আফগান সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে রাজি হবে। তালেবান-মার্কিন শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ছিল। কিন্তু অনেকে এ নিয়ে আশাবাদীও হয়েছিলেন। এই প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাওয়ার খবরে কাবুলের এক মহিলা বিবিসিকে বলেন, \"কেন একজন আমেরিকানের মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলেন? এত যে আফগানের মৃত্যু হয়েছে তাদের জীবনের কি তাহলে কোন দাম নেই?\"", "doc2": "Mista Trump ya ce ya fasa ganawar sirri da zai yi da shugabannin Taliban ranar Lahadi A makon da ya wuce Jakadan Amurka a Afghanistan ya cimma daftarin yarjejeniyar sulhu da kungiyar ta masu ikirarin Jihadi, bayan doguwar tattaunawa. A wani jerin sakon twitter, da ya rika fitarwa, Shugaba Trump ya bayyana daki-daki bayanan wata ganawa ta sirri, da ya shirya yi ranar Lahadi a wurin shakatawa na Camp David. A wannan zama na sirri, an tsara zai yi zama na keke da keke da shugabannin Taliban, sannan kuma bayan su zai gana daban da shugaban Afghanistan shi ma, a cewar Mista Trump din. Taliban ta kai harin da bam din da aka dana a mota a yankin da ke da tsaro sosai a Kabul To amma bayan wani wawan hari da kungiyar ta Taliban ta kai a Kabul, babban birnin kasar ta Afghanistan, ranar Alhamis, wanda ya yi sanadiyyar mutuwar mutane goma sha biyun, da suka hada da sojan na Amurka, Shugaba Trump, ya ce, ba tare da wani jinkiri ba ya soke wannan ganawa, bai ma tsaya a nan ba, sai ya kara da watsi da daftarin zaman lafiyar da aka samar tsakanin Amurka da Taliban din. Yana mai cewa: ''Shin wadanne irin mutane ne wadannan da za su hallaka mutane da yawa haka, kawai domin su karfafa matsayarsu a tattaunawar?'' An dai shafe watanni ana kai gwauro ana kai mari a fagen diflomasiyya, domin samun daftarin yarjejeniyar zaman lafiyar, kafin daga bisani bangarorin biyu su cimma matsaya. A wani sakon na twitter Mista Trump ya ce idan Taliban ba za ta iya amincewa da dakatar da bude wuta ba a yayin wannan muhimmin zaman sasantawa, to kenan kila ba su da ikon yin wata yarjejeniya mai muhimmanci. Matakin Mista Trump ya soke wannan ganawa da ya shirya da bangarorin biyu, da watsi da yarjejeniyar da ake yi, wani babban koma-baya ne ga zaman na kusan shekara da aka shafe ana yi a Qatar, wanda aka ce zai kai ga kwashe dakarun Amurka 5,400 cikin mako 20 cikin sati 20 daga Afghanistan. Karkashin yarjejeniyar Amurka za ta janye sojojinta 5,400 cikin mako 20 Ba shakka jami'an diflomasiyyar Amurka ba za su so a ce, abin da suka yi da shugabannin kungiyar ta Taliban, ya tafi a banza ba, an tashi a tutar babu. Wakilin Amurka na musamman a tattaunawar Afghanistan Zalmay Khalilzad, yayin ganawa da Shugaba Ghani Za su yi fatan a farfado da wannan tattaunawa, ba kuma kawai komawa kan teburin ba, a'a, a yi zama na bil-hakki da gaskiya, ba tare da yaudara ko wani mugun nufi ba, don kawo karshen yakin na Afghanistan da Taliban."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55012247", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55004613", "doc1": "ফরাসী প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর বিশ্বের বাংলাদেশে মুসলিমদের বিক্ষোভ ফরাসী প্রেসিডেন্ট বুধবার ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সংগঠন ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথকে (সিএফসিএম) ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন এই সনদ মেনে নেয়ার জন্য। সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে। এটি ইমামদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার এবং তাদের অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবে। এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীরা তিনটি হামলা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো ফ্রান্স। বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ওই সনদটিতে এমন কথা থাকছে যে ইসলাম একটি ধর্ম এবং কোনও রাজনৈতিক ধারা নয়। মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ'ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে সনদে। হামলাগুলোর মুখে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ফরাসী ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন। এসব হামলার মধ্যে ছিল একজন শিক্ষকের শিরশ্ছেদের ঘটনা, যিনি তার ক্লাসে আলোচনার সময় ইসলামের নবীর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। বুধবার এলিসি প্যালেসে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্দ দারমানিন আটজন সিএফসিএম নেতার সাথে বৈঠক করেন। আরো পড়তে পারেন: 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে ফ্রান্সের কাছে বাংলাদেশের চিঠি: কী বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ নবীর কার্টুন দেখানো শিক্ষকের শিরশ্ছেদ নিয়ে উত্তাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ‘ ফ্রান্স 'আমি কেন আর ফরাসি পণ্য ব্যবহার করছি না' ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে লা প্যারিসিয়েঁ পত্রিকা একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, \"[সনদে] দুইটি মূলনীতি পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা থাকবে: রাজনৈতিক ইসলাম প্রত্যাখ্যান এবং যে কোনো ধরণের বিদেশি হস্তক্ষেপ।\" ওই বৈঠকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমামস প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যাকে 'ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সেই বিষয়টি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে থাকছে একটি আইন প্রণয়ন, যার লক্ষ্য হবে মৌলবাদকে প্রতিহত করা। বুধবারে প্রকাশ করা এই নতুন কৌশলের মধ্যে রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. দারমানিন লা ফিগারো পত্রিকাকে বুধবার বলেন, \"আমাদের শিশুদের ইসলামিস্টদের থাবা থেকে বাঁচাতে হবে।\" প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি নিয়ে ৯ই ডিসেম্বর ফরাসী মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। এ বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ইসলামকে 'সঙ্কটাপন্ন' ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন এবং ম্যাগাজিনগুলোর ইসলামের নবীকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ইসলাম ধর্মে নবীকে চিত্রায়ন নিষিদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং অনেক মুসলমানই এটিকে অত্যন্ত অপমানজনক হিসেবে মনে করেন। ওই মন্তব্যগুলো করার পর থেকেই ফরাসী প্রেসিডেন্ট মুসলিম প্রধান অনেক দেশে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন। অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভকারীরা ফরাসী পণ্য বয়কট করার ডাক দেন। ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়ের কেন্দ্রে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। স্কুল-সহ অন্যান্য জনসমাগমস্থলে বাকস্বাধীনতার বিষয়টি এরই একটি অংশ। একে ক্ষুন্ন করে কোনো একটি ধর্মীয় অনুভূতিকে সুরক্ষার চেষ্টা করাকে ফ্রান্সের জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী হিসেবে মনে করা হয়। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মুসলমান বাস করে ফ্রান্সে।", "doc2": "Masu zanga-zanga sun yi Allah wadai da kalaman Macron kan addinin Islama A ranar Laraba ya bai wa shugabannin Majalisar Ƙoli ta Musulmi a Faransa (CFCM) wa'adin kwana 15 ta amince da tsarin. Dokar ta bayyana cewa Musulunci addini ne ba wata manufar siyasa ba, tare da haramta \"katsalandan daga ƙasashen waje\" a ƙungiyoyin Musulmi. Wannan na zuwa bayan hare-haren ta'addanci da aka kai ƙasa da wata ɗaya. Mista Macron ya kuma kare tsarin manufofin Faransa bayan hare-haren da aka kai da suka ƙunshi har da fille kan malamin da ya nuna wa ɗalibai zanen ɓatanci ga Annabi Muhammad a aji a watan jiya. A makon da ya gabata, shugaban da ministan harakokin cikin gida Gérald Darmanin, ya gana da shugabannin Musulmi a fadarsa ta Élysée. \"Wasu sharuɗɗa za a rubuta su cikin launin baƙi da fari (cikin kundin): wato ƙin amincewa da manufar siyasa a addinin Musulunci da kuma duk wani katsalandan daga wata ƙasa,\" kamar yadda wata majiya ta shaida wa jaridar Le Parisien bayan ganawar. Wakilan majalisar Musulman ta CFCM sun kuma amince da kirkirar Majalisar Limamai ta Kasa, wacce za ta tantance malaman da ba su shaida a hukumance wanda kuma za a iya janye wa idan an saɓa sharuɗɗan. Shugaba Macron ya kuma sanar da sabbin matakai na tunkarar abin da ya kira \"Masu tawayen Islama\" a Faransa Matakan sun haɗa da wani ƙudurin doka da zai nemi haramta tsattsauran ra'ayi. Bidiyon abin da ya jawo ƙasashen Musulmai suka juya wa Faransa baya An gabatar da matakin a ranar Laraba kuma ya ƙunshi hana karatun gida tare da hukunci mai tsauri ga waɗanda suka razana jami'an gwamnati ta fuskantar addini. Kowane yaro za a ba shi wata lambar shaida ƙarƙashin dokar da za a yi amfani da ita don tabbatar da suna zuwa makaranta. Iyayen da suka saɓa dokar za su iya fuskantar hukuncin ɗaurin watanni shida da kuma tara mai yawa. Ƙudirin dokar, wanda kamfanin dillacin labaran AFP ya fara gani, kuma laifi ne ga wani ya bayyana bayanan wani ta hanyar da za a gano inda suke domin cutar da su. Samuel Paty, malamin da aka kashe a wajen makaranta a watan da ya gabata, wata yekuwa ce a intanet ta haifar da kisansa a 16 ga Oktoba. \"Dole ne mu ceto ƴaƴanmu daga hannun masu kaifin kishin Islama,\" kamar yadda Mista Darmanin ya shaida wa jaridar Le Figaro ranar Laraba. Majalisar zartarwar Faransa za ta tattauna kan daftarin dokar a ranar 9 ga Disamba. Kare Mujallu A farkon wannan shekarar, Shugaba Macron ya bayyana addinin Islama a matsayin addinin \"rikici\" kuma ya kare ƴancin mujallu na wallafa zane-zanen da aka yi na nuna ɓatanci ga Annabi Muhammad. Zane-zanen da aka ɗauka haramtattu a addinin Islama kuma abin ƙyama ga al'ummar Musulmi. Bayan waɗannan kalaman, shugaban na Faransa ya zama abin ƙyama a yawancin ƙasashen Musulmi inda masu zanga-zanga suka yi kiran ƙauracewa kayayyakin Faransa. A Faransa, ana bin tsarin boko zalla, kuma tsarin ƙasar. Ƴancin faɗar albarkacin baki a makarantu da sauran wuraren taruwar jama'a da daga cikin tsarin ƙasar, kuma ƙoƙarin hana wannan don kare wani ra'ayin wani addini ƙasar na kallonsa a matsayin rusa haɗin kan ƙasa. Faransa ita ce ƙasar da ta fi yawan Musulmi a ƙasashen Turai."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50713137", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50714360", "doc1": "আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসরে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা নিয়ে কেউ অংশ নিতে পারবে না এর মানে হচ্ছে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকস এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা দেখা যাবে না কিংবা রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না। যেসব রুশ অ্যাথলিট প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা বলবর্ধক মাদক ব্যবহার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত নন, তারা অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবেন। তবে রুশ পতাকার পরিবর্তে একটি নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সুইটজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। এর আগে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (রুসাডা) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে এই কেলেংকারির তদন্তে তারা সহযোগিতা করছে না। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার যেসব তথ্য হস্তান্তর করেছিল, তাতে কারসাজি করা হয় বলে অভিযোগ করছে ওয়াডা। রাশিয়ায় সরকারি মদতে খেলাধুলায় ব্যাপকভাবে বলবর্ধক মাদক ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে কয়েক বছর ধরে। এর আগেও তিন বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল, যদিও সিদ্ধান্তটি ছিল বেশ বিতর্কিত। এবারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রাশিয়াকে ২১ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ন্সশীপে শটপুটে অংশ নিচ্ছেন এক রুশ প্রতিযোগী ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকসে রাশিয়ার ১৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেও তাদের রুশ পতাকার পরিবর্তে নিরপেক্ষ পতাকা বহন করতে হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচিতে যে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস হয়েছিল, তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডোপিং কেলেংকারির অভিযোগ ওঠে। রাশিয়া সেবার ১৩টি স্বর্ণপদক সহ মোট ৩৩টি পদক জিতেছিল। রাশিয়া একটি দেশ হিসেবে যে কোন ধরণের আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ। তবে এবারের এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও 'ইউরো ২০২০' ফুটবল টুর্নামেন্টে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে। কারণ ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা 'ইউয়েফা'র বেলায় অ্যান্টি ডোপিং সংস্থার নিয়ম-কানুন প্রযোজ্য নয়। 'ইউরো ২০২০' টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নগরী হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ। অলিম্পিক গেমসেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া যেভাবে রাশিয়া এই কেলেংকারিতে জড়ালো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিং এর অভিযোগ ওঠে ২০১৫ সালে। সেবছরের নভেম্বরে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা' মাদক বন্ধে সহযোগিতা করছে না বলে ঘোষণা করে ওয়াডা। সংস্থার এক রিপোর্টে তখন বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় সরকারি মদতেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্সে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপর ২০১৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চার বছর ধরে ডোপিং কর্মসূচি চলেছে যাতে করে তাদের প্রতিযোগীরা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য খবর: নিউজিল্যান্ডের দ্বীপে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ৫ দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে বিপিএল: জাঁকজমক বনাম ক্রিকেট ২০১৮ সালে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা'র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল এই শর্তে যে তারা তাদের মস্কো ল্যাবরেটরিতে ২০১২ হতে ২০১৫ সালে করা সব পরীক্ষার ডেটা ওয়াডার হাতে তুলে দেবে। কিন্তু ২০১৭ সালে ফাঁস করা রিপোর্টের এক কপিতে দেখা যায় ডোপিং টেস্টে মাদক ব্যবহারের ঘটনা ধরা পড়েছে এমন অনেক তথ্য 'রুসাডা' গোপন করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আজ যে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হলো তার ফলে দেশটি আগামী চার বছর কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। কোন প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও চেষ্টা করতে পারবে না।", "doc2": "Hakan na nufin Rasha ba za ta shiga gasar cin Kofin Duniya ta 2022 da za a yi a Qatar ba da kuma gasar guje-guje da tsalle-tsalle da za a yi a Tokyo a 2020. To sai dai masu guje-gujen da tsalle-tsallen da za su iya nuna shaidar rashin shan kwayoyi masu kara kuzari za su iya shiga gasar amma ba da sunan Rasha ba. Hukumar ta Wada ta yanke hukuncin ne yayin wani taron shugabanninta a Lausanne na kasar Switzerland. Wannan hukuncin dai na zuwa ne bayan da Wada ta nuna rashin amincewa da hukuma mai sa ido kan amfani da kwayoyin masu kara kuzari ta Rasha, Rusada bisa zargin yin magudin sakamakon gwajin da aka yi wa 'yan kasar wanda kuma aka bai wa masu bincike a watan Janairun 2019. Yanzu dai hukumar Wada ta ce hukumar Rusada na da kwanaki 21 domin daukaka kara dangane da haramcin. Da ma dai masu tsalle-tsalle da guje-guje 168 'yan kasar Rasha ne su ka fafata a gasar Olympics ta 2018 da aka yi Pyeongchang, ba da sunan Rasha ba. Tun shekarar 2015 ne dai aka haramta wa Rasha shiga gasar wasanni guje-guje da tsalle-tsalle a matsayinta na kasa. To sai dai duk da wannan harmaci, Rashar za ta shiga gasar Euro 2020"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51310398", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51307807", "doc1": "৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হচ্ছে তবে আগামী এগার মাস পরিবর্তনকালীণ সময় বা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য ইইউ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং ইইউকে অর্থ প্রদান করবে। এই বিচ্ছেদের কারণে যেসব পরিবর্তন আসবে: ১. ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারাবেন যুক্তরাজ্যের এমপিরা নাইজেল ফারাজ এবং অ্যান উইড্ডেকমবের মতো পরিচিত মুখগুলোসহ যুক্তরাজ্য থেকে ৭৩ জন সদস্য ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার ফলে তারা তাদের সদস্যপদ হারাবেন। কারণ যুক্তরাজ্য একই সাথে ইইউ'র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোও ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যেহেতু যুক্তরাজ্য অন্তর্বর্তী সময়ে ইইউ'র আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে সেহেতু ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস আইনি সমস্যাগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেয়া অব্যাহত রাখবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট ভোট: এরপর কী ঘটতে পারে? স্কটল্যান্ড ও ব্রেক্সিট: এরপর কী হবে? ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারাবেন যুক্তরাজ্যের এমপিরা ২. ইইউ সামিটে আর নয় ভবিষ্যতে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল সামিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অংশ নিতে চান তাহলে তার জন্য দরকার হবে বিশেষ আমন্ত্রণ। ব্রিটিশ মন্ত্রীরাও এখন থেকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মিত বৈঠকগুলোতে অংশ নিতে পারবেন না। ৩. বাণিজ্য বিষয়ে অনেক কিছু শোনা যাবে যুক্তরাজ্য তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি বা এসব কেনার জন্য নতুন নিয়ম ঠিক করতে বিশ্বের যে কোনো দেশের সাথে আলোচনা শুরু করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য থাকার সময়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা করতে পারতো না। এখন ব্রেক্সিট সমর্থকরা বলছেন নিজের বাণিজ্য নীতি ঠিক করার স্বাধীনতা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। ৪. যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টের রং পরিবর্তন হবে নীল রংয়ের পাসপোর্ট আবার ফিরে আসবে ত্রিশ বছর পর। ২০১৭ সালে এ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা দিয়ে তখন অভিবাসনমন্ত্রী ব্রান্ডন লুইস দেশটির ঐতিহ্যবাহী নীল ও সোনালী ডিজাইনের পাসপোর্ট আবার ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। এ পাসপোর্ট প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছিলো ১৯২১ সালে। তবে বর্তমান যে পাসপোর্ট আছে সেটিও বৈধ থাকবে। পাসপোর্ট পরিবর্তন হবে ব্রিটিশ নাগরিকদের ৫. ব্রেক্সিট কয়েন প্রায় ত্রিশ লাখ বিশেষ কয়েন আসবে যেখানে ৩১শে জানুয়ারি এবং লেখা থাকবে 'পিস, প্রসপারিটি অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ উইথ অল নেশনস'। তবে এ কয়েনকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে তারা এ কয়েন বর্জন করবে। তবে সরকার একই ধরণের আরেকটি কয়েন আনার পরিকল্পনা করছে যেখানে উল্লেখ থাকবে ৩১শে অক্টোবর, যে তারিখে প্রকৃতপক্ষে ব্রেক্সিট কার্যকরের কথা ছিলো। ৬. বন্ধ হবে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট ডিপার্টমেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের যে বিভাগ আলোচনা চালিয়েছিলো সেই বিভাগটি বন্ধ হয়ে যাবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে'র সময়ে ওই বিভাগটি চালু করা হয়েছিলো ২০১৬ সালে। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাজ্যের নেগোসিয়েশন টিম হবে ডাউনিং স্ট্রীট অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ভিত্তিক। ৩১শে জানুয়ারি ছাড়া হবে এই কয়েন ৭. জার্মানি কাউকে যুক্তরাজ্যে প্রত্যর্পণ করবে না সন্দেহভাজন অপরাধী যদি কেউ যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয় তাহলে তাকে ফেরত পাবে না যুক্তরাজ্য। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিককে প্রত্যর্পণের সুযোগ নেই, জার্মান সংবিধান অনুযায়ী। যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলছে ইউরোপিয়ান অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে অন্তর্বর্তী সময় পর্যন্ত। ভ্রমণে কোনো পরিবর্তন আসছেনা আর যেসব বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আসবেনা ১. ভ্রমণ অন্তর্বর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ভ্রমণের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের লাইনেই দাড়াতে পারবেন। ২. ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পেট পাসপোর্ট এগুলোর বৈধতা অব্যাহত থাকবে। ৩. ইউরোপিয়ান স্বাস্থ্য বীমা কার্ড এ কার্ড দিয়েই যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে। ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড থাকছে ৪. ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসবাস ও কাজ অন্তর্বর্তী সময়ে চলাচলের স্বাধীনতা অব্যাহত থাকবে। তাই যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ইইউভুক্ত দেশে বসবাস ও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। ইইউভুক্ত অন্য দেশের নাগরিকরাও একই সুবিধা পাবে যুক্তরাজ্যে। ৫. পেনশন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্য দেশে বসবাসরত যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা রাষ্ট্রের পেনশন সুবিধা পাবেন। ৬.বাজেটে অবদান ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেটে অন্তর্বর্তী সময়েও অবদান রেখে যাবে যুক্তরাজ্য। ৭. বাণিজ্য যুক্তরাজ্যের সাথে ইইউ'র বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে নতুন কোন চার্জ আরোপ ছাড়াই।", "doc2": "Yayin da take cikin wannan yanayi kuma, Birtaniya za ta ci gaba da martaba dokokin EU da kuma biyan kudade ga EU. Akasarin abubuwa za su kasance yadda suke amma za a samu wasu sauye-sauye: 1. 'Yan majalisar Turai daga Birtaniya za su rasa kujerunsu Jam'iyyar Brexit ta lashe mafi yawan kujeru a zaben Turai da aka gudanar cikin Mayun 2019 Fitattun mutane irinsu Nigel Farage da Ann Widdecombe na daga cikin 'yan Birtaniya 73 da ke mambobi a majalisar Turai wadanda kai tsaye za su rasa kujerunsu a Majalisar Dokokin Turan. Saboda a yanzu haka, Birtaniya za ta janye kanta daga dukkanin cibiyoyin siyasa da kuma hukumomin EU. Sai dai kari kan bin dokokin EU da Birtaniya za ta ci gaba da yi a lokacin da take cikin shirin ficewa daga EU baki daya, kotun Tarayyar Turai za ta ci gaba da zama kan gaba wajen fadin abin da ya kamata a yi game da duk wata takaddama ta shari'a. 2. Babu sauran tarukan EU Nan gaba zai kasance sai an gayyaci Firai Ministan Birtaniya Boris Johnson idan har yana son shiga jerin sauran shugabanni don halartar tarukan majalisar EU. Kazalika, ministocin Birtaniya su ma ba za su rika halartar tarukan da EU ke gudanarwa akai-akai ba wadanda ke yanke hukunci kan abubuwa da dama. 3. Za a rika jin abubuwa da dama game da kasuwanci Birtaniya za ta samu damar tuntubar kasashe a fadin duniya game da gindaya wasu ka'idojin saye da sayarwa da kuma ayyuka. Ba a ba ta izinin tattaunawar kasuwanci da kasashe irin su Amurka da Australiya a hukumance ba yayin da take zama mamba a EU. Magoya bayan Brexit sun bayar da hujjar cewa samun 'yanci don kafa tsarin kasuwanci na kashin kai zai bunkasa tattalin arzikin Birtaniya. Hakanan akwai abubuwa da yawa da za a tattauna tare da EU. Yarda da yarjejeniyar kasuwanci tsakanin Burtaniya da EU abu ne mai mahimmancin gaske, don haka ba a bukatar koma baya a fannin kasuwanci idan wa'adin ficewar ya kare. Idan aka cimma yarjejeniya ta kasuwanci, ba za su iya farawa ba har sai lokacin da ficewar ta Birtaniya daga EU ta tabbata. 4. Za a ga sauyin launi a Fasfo din Birtaniya An koma yin amfani da sabon fasfo a 1988 sabanin mai launin shudi da aka yi amfani da shi a shekarun baya Za a dawo yin amfani da fasfo mai launin shudi sama da shekara 30 bayan da aka daina yin amfani da shi, tare da maye gurbinsa da fasfo din da a yanzu ake amfani da shi mai launin makuba (burgundy). Da yake sanar da sauyin a 2017, ministan shige da fice na lokacin, Brandon Lewis ya yaba da matakin komawa fasfo mai launin shudi da zinare mai dinbim tarihi wanda aka fara amfani da shi a 1921. Za a fara bayar da sabon fasfo din nan da tsakiyar shekarar nan. Kuma za a cigaba da yin amfani da fasfo din da ake amfani da shi yanzu 5. Tsabar kudin Brexit Sai dai aka sake narka kwandalolin bayan da aka tsawaita ficewar Birtaniya daga EU Za a fara amfani da kimanin miliyan uku na tsabar kudin 50 pence da ke dauke da kwanan watan \"31 ga Janairu da kuma rubutun: \"Zaman lafiya da wadata da abota da dukkan kasashe\" ranar Juma'a. Yin amfani da kwandalar ya janyo ce-ce ku ce inda wasu ke cewa ba za su goyi baya ba. Gwamnati ta tsara za ta bijiro da makamancin tsabar kudin ranar 31 ga watan Oktoba, ranar da a baya aka tsara ficewar Birtaniya daga EU. Sai dai an narka kwandalolin bayan da aka kara tsawaita Brexit. 6. Za a rufe sashen da ke tattauna ficewar Birtaniya daga EU Za a rushe tawagar da ke kula da tattaunawar Birtaniya da EU ranar Brexit. Tsohuwar Farai Minista Theresa May ce ta kafa sashen tattauna ficewar Birtaniya daga EU a shekarar 2016. A tattaunawar da za a yi a nan gaba, tawagar za ta kasance a Downing Street. 7. Jamus ba za ta mayar da 'yan kasarta zuwa Birtaniya ba Ba zai yiwu a mayar do da wasu da ake zargi da aikata laifi ba zuwa Birtaniya idan sun gudu zuwa Jamus. Kundin tsarin mulkin Jamus bai yarda a fitar da 'yan kasar ba, sai dai in zuwa wata kasar ta Turai ce. \"Ba za a ci gaba da yin amfani da haka ba bayan Birtaniya ta bar EU,\" in ji wani mai magana da yawun Ma'aikatar Shari'a ta Jamus. Babu tabbaci ko irin wannan takunkumin zai shafi wasu kasashe. Misali Slovenia, ta ce lamarin yana da rikitarwa, yayin da Hukumar Turai ta gaza yin jawabi a kai. Ofishin Cikin Gida na Birtaniya ya ce za a ci gaba da amfani da izinin kame a yankin Turai a lokacin da Birtaniya ke shirin barin EU. (Wannan na nufin Jamus za ta iya mayar da mutanen da ba 'yan kasarta ba kasashensu.) Amma, ofishin ya kara da cewa idan dokokin kasa suka hana mayar da mai laifi Birtaniya, \"to ana tsammanin ofishin zai karbi ragamar shari'a ko hukuncin da aka yanke wa mutumin da abin ya shafa.\" Abubuwa bakwai da ba za su sauya ba....... Saboda da zarar Birtaniya ta fice daga EU, tana da tsawon wata 11 ta fice daga kungiyar baki daya kuma akasarin abubuwa za su kasance a yadda suke - har zuwa 31 ga watan Disambar 2020, ciki har da: 1. Tafiye-tafiye Za a ci gaba da martaba 'yan Birtaniya kamar yadda ake yi wa sauran al'ummar EU a lokacin da kasar ke shirin ficewa daga EU Jiragen sama da jiragen ruwa da kuma jiragen kasa za su ci gaba da gudanar da harkokinsu kamar yadda suka saba. Game da batun fasfo kuma, a lokacin da Birtaniya ke shirin ficewar, 'yan kasar za su ci gaba da samun damar bin layi a wuraren da aka kebe domin al'ummar da ke shiga Turai kadai. 2. Lasisin tuki da fasfo na dabbobin gida Lasisin da fasfo din za su ci gaba da aiki matukar wa'adinsu bai kare ba. 3. Katin inshorar lafiya na Turai (EHIC) Za a ci gaba da yin amfani da katin EHIC Wadannan su ne katunan da suke bai wa 'yan Birtaniya damar zuwa asibitocin gwamnati domin samun kulawa a lokacin rashin lafiya. Ana iya amfani da su a kowace kasa ta EU (har ma da Switzerland da Norway da Iceland da kuma Liechtenstein) kuma za a ci gaba da amfani da su a lokacin barin EU gaba daya. 4. Zama da aiki a Turai 'Yan Birtaniya za su ci gaba da samun ikon zirga-zirga a lokacin shirin ficewar daga EU dungurungum don haka 'yan kasar ta Birtaniya za su ci gaba da zama tare da yin aiki a kasashen Tarayyar Turai kamar yadda suke yi a yanzu. Haka abin yake ga 'yan kasashen Turai da ke son zama tare da yin aiki a Birtaniya ba. 5. Fansho 'Yan Birtaniya da ke zaune a Turai za su ci gaba da karbar fanshonsu sannan za su rika samun kari a kan kudaden fansho din duk shekara. 6. Bayar da gudunmowa a kasafin kudi Birtaniya za ta ci gaba da biyan wani kaso a kasafin Turai yayin da take cikin wata 11 na shirin ficewarta daga EU din. Hakan na nufin tsare-tsaren da ake da su wanda ake biya ta tallafin da EU ke bayarwa, ba za su fuskanci wani sauyi ba. 7. Kasuwanci Kasuwanci tsakanin Birtaniya da EU zai dore ba tare da karin haraji ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48734880", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48740711", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পড়ছেন কিম জং-আন। ওই চিঠিকে 'চমৎকার' বলে বর্ণনা করেছেন মি. কিম এবং বলেছেন, 'চিঠির কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়বস্তু নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন'। মি. ট্রাম্পের 'অসাধারণ' সাহসেরও প্রশংসাও করেছেন তিনি। এ মাসের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, কিম জং-আনের কাছ থেকে তিনি একটি সুন্দর চিঠি পেয়েছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি কখন আর কীভাবে মি. কিমের কাছে পৌঁছানো হয়েছে, তা পরিষ্কার করা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং-আনের বৈঠকটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, মি. ট্রাম্প এবং মি. কিমের ওই বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যাওযার পর এটাই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি বলে মনে করা যায়। তবে দুই নেতাই বেশ কয়েকটি চিঠি আদান-প্রদান করেছেন। চিঠির এই সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনের সপ্তাহেই সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরো পড়ুন: কারা সাহায্য করছে উত্তর কোরিয়াকে 'নিখোঁজ' কিম ইয়ং-চোলকে জীবিত দেখা গেছে পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী ত্যাগ করতে হবে। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, আগে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তবে গত কয়েকমাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার কিম জং-আনের ব্যাপারে আন্তরিক মনোভাব দেখিয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকে তিনি রিপোর্টারদের কাছে বলেন যে উত্তর কোরিয়ায় কিম জং-আনের নেতৃত্বের বিষয়টি বিশেষভাবে অর্থবহ। গত মে মাসে জাপান সফরের সময় কিম জং-আনকে 'খুব চালাক একজন ব্যক্তি' বলে বর্ণনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক ভালো কিছু আসবে বলে তিনি আশা করেন বলে জানিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের ইরানে মার্কিন হামলার পরিণতি কী হতে পারে? মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি অ্যালার্জির কারণে আজ আমি বিউটি ফার্মের মালিক", "doc2": "Shugaba Kim Jong-un a lokacin da ya ke karanta wasikar da Trump ya aika masa Kamfanin dillancin labarai na KCNA ya ce Mista Kim ya bayyana wasikar da mai armashi, tare da son sanin muhimmin batun da ke cikinta. Mista Kim ya yabawa Shugaba Trump, inda ya kira shi da jajirtacce, sai dai babu wani cikakken bayani da aka yi game da abin da wasikar ta kunsa. Kamfanin dillancin labarai na Reuters ya tabbatar da aika wannan wasika a wani sako da fadar White House ta aika ma sa. Mai magana da yawun fadar Sara Sanders ta ce tabbas Shugaba Trump ya aikawa takwaransa na Koriya ta Arewa wasika kuma shugabannin biyu na ci gaba da tattaunawa. A farkon wannan watan ne Mista Trump ya bayyana cewa Kim Jong-un ya aika masa wasika mai dadin karantawa. Sai dai ba a bayyana lokaci ko ta hanyar da Trump ya aika wasikar shi zuwa Koriya ta Arewa ba. A watan Fabrairu dai tattaunawa tsakanin shugabannin biyu a kasar Vietnam ba ta yi armashi ba. Ana ganin wasikar ita ce matakin farko na ci gaban da aka samu tsakanin kasashen biyu tun bayan taron watan Fabrairun. Amurka ta kafe kan dole Koriya ta Arewa ta kawo karshen shirinta na makamin nukiliya, ya yin da Arewar ta bukaci a sassauta mata takunkumi tukunna kafin ta dauki wani mataki. Ko a watannin da suka gabata shugaba Trump na yawan yabon shugaba Kim. A farkon watannan ya shaidawa manema labarai cewa Koriya ta Arewa za ta samu gagarumin ci gaba karkashin jagorancin Mista Kim. Harwayau a watan Mayu da ya wuce, lokacin taron kasashe masu karfin tattalin arziki na G20 da aka yi a kasar Japan, Mista Trump ya ce Kim Jong-un ya na da kaifin basira kuma ya na sa ran abubuwa masu amfani za su samu daga kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40652345", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/39179594", "doc1": "অনলাইন নির্ভর এক জীবন তরুণ-তরুণীদেরকে আরো উদ্বিগ্ন, অসম্পূর্ণ ও ভীত করে তুলতে পারে, বলছে গবেষণা। ডিচ দ্য লেবেল নামের একটি অ্যান্টি-বুলিয়িং বা পীড়ন-বিরোধী দাতব্য সংস্থা এই গবেষণাটি চালিয়েছে। এই গবেষণা জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৪০%-ই বলছে, কেউ যদি তাদের সেলফিতে লাইক না দেয়, তাহলে তারা খারাপ বোধ করে। আর ৩৫% বলছে তাদের কি পরিমাণ ফলোয়ার বা অনুসারী তার উপর সরাসরি নির্ভর করে তাদের আত্মপ্রত্যয়ের ব্যাপারটি। প্রতি তিন জনে একজন বলছে তারা সারাক্ষণই সাইবার-বুলিয়িংয়ের বা পীড়নের আতঙ্কে থাকে। একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে শিশুরা 'বৈরিতার সংস্কৃতির' মধ্যে বেড়ে উঠছে। দশ হাজার তরুণ তরুণীর উপর এই জরিপটি চালানো হয়। এদের বয়েস ছিল ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে। এই জরিপে বেরিয়ে এসেছে সাইবার-বুলিয়িং ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। ৭০% অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছে যে তারা অনলাইনে অন্যের উপর পীড়নমূলক আচরণ করে। ১৭% দাবী করেছে তারা অনলাইনে পীড়নের স্বীকার হয়েছে। অর্ধেকই বলেছে যে তারা অনলাইনে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া খারাপ আচরণগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় না। গবেষণায় আরো জানা যাচ্ছে, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সবচাইতে বেশী ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। আরো পড়ুন: ভূমিকম্প প্রবণ স্থানে গভীর গর্ত খুঁড়ছে কেন ভারতীয়রা? জার্মান গানের স্কুলে বহু ছেলে যৌন নির্যাতনের শিকার", "doc2": "Rahoton ya gano cewa sama da sa'o'i biyu da mutane ke yi suna amfani da shafukan sada zumunta a rana, yana ninka dabi'ar sanya da mutum ya kebe kansa daga jama'a. Rahoton ya yi amanna cewar irin yadda mutane ke baje kolin hotunansu a shafukan sada zumuntar na yadda rayuwarsu take, yana sa wasu da basu da irin wannan tagomashin jin kyashi da hassada. Har ila yau binciken ya yi duba ga wadanda suke amfani da shafukan Instagram da Snapchat da kuma Tumblr. Daya daga cikin wadanda suka wallafa rahoton, kuma Farfesa a fannin lafiyar yara da ke Jami'ar Pittsburgh, Elizabeth Miller ta ce, \"Ba mu da masaniyar wanda ya fara zuwa, tsakanin amfani da shafukan sada zumunta da kuma kauracewa jama'a da mutane ke yi don karan kansu.\" Zai iya yiyuwa matasan da ada suka kauracewa jama'a ne suka koma yin amfani da shafukan sada zumunta na zamani. Ko kuma zai iya kasancewa yawan amfanin da suke yi da shafukan sada zumuntar ne ya jawo suke kauracewa sauran mutane,\" in ji ta. Bayanin da aka yi a rahoton ya nuna cewa yawan lokacin da mutane ke batawa a yanar gizo wajen amfani da shafukan sada zumunta, to hakan zai sa su kasance ba su da lokacin mutane da ke kusa da su. Har ila yau, amfani da shafukan yana kara sa jin wariya, kamar ganin hotunan yadda abokai suke shagalinsu a wani taro da suka halarta, wanda su ba a gayyace su ba. Tawagar masu binciken ta ji ta bakin kusan matasa 2,000 masu shekaru daga 19 zuwa 32, kan yada suke amfani da shafukan sada zumuntar. Hattara da shafukan sada zumunta. Kar ka yi asarar aikinka Farfesa Brian Primack na Jami'ar Pittsburgh a bangaren koyon kiwon lafiya, ya ce, \"Wannan batu ne mai matukar muhimmanci da za a yi nazari akansa saboda yadda matsalolin da suka shafi lafiyar kwakwalwa da yadda mutane da kebe kansu daga jama'a suka zama annoba a tsakanin matasa.\" \"Tun fil azal mu ma'abota walwala ne, sai dai kuma zamani ya zo da abin da yake raba kawunanmu maimakon ya kara hada kanmu. \"A yayin da shafukan sada zumunta na zamani zai ba da damar cike gurbin da aka bari na kauracewa daga jama'a, wannan nazari ya nuna cewa ba lallai ne hakan ya zama mafita ga mutane ba.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51945947", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-51938594", "doc1": "করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যেমন নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ আসছে, তেমনি পাশাপাশি নানাধরনের ভুয়া খবর এবং অনির্ভরযোগ্য তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে। তবে বিবিসির রিয়ালিটি চেক বিভাগকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ মোকাবেলার জন্য আইবুপ্রুফেন না খাওয়ার পরামর্শই তারা দিচ্ছেন। তবে তারা একথাও বলেছেন যে, যারা শারীরিক সমস্যার জন্য ইতোমধ্যেই আইবুপ্রুফেন খাচ্ছেন, তারা যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ না করেন। আইবুপ্রুফেন অনেকেই খান ব্যথা বা প্রদাহ উপশমের জন্য। সাধারণত জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগার মত উপসর্গ উপশমের জন্য প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই ভাল কাজ করে। তাপমাত্রা কমাতে দুটো ওষুধই উপযুক্ত। কিন্তু তারা বলছেন আইবুপ্রুফেন এবং স্টেরয়েডবিহীন অন্য প্রদাহনাশক ওষুধ সকলের জন্য উপযুক্ত নয় এবং এসব ওষুধ থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে- বিশেষ করে যাদের হাঁপানি, হৃদরোগ এবং রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে । ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বা এনএইচএস-এর ওয়েবসাইটে আগে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাস জ্বরে প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রুফেন দুটোই খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরে তারা এই পরামর্শ বদলিয়ে বলেছে: \"আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসকে আরও খারাপ করবে কিনা সে সম্পর্কে জোরালো কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও নেই, তবে যতক্ষণ না আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় প্যারাসিটামল খান। যদি না আপনার চিকিৎসক বলেন যে প্যারাসিটামল আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।\" আইবুপ্রুফেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আরও ভয়ানক করে তোলে কিনা বা এই ওষুধ খেলে রোগ আরও দীর্ঘায়িত হয় কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যাদের স্বাস্থ্য ভাল কিংবা যাদের কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে তাদের ওপর আইবুপ্রুফেন কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা এখনও অজানা। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ডা. শারলোট ওয়ারেন-গাশ বলছেন, \"যাদের কোনধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, তাদের প্যারাসিটামল খাওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হয়।\" প্যারাসিটামল দোকানগুলোতে বেশ সহজেই কিনতে পাওয়া যায় ভুয়া খবর- কী দেখেছে বিবিসি কিন্তু ডাক্তারদের পরামর্শ যাই হোক, অনলাইনে নানাধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। ইউরোপে ছড়ানো বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো এসব খবরে দাবি করা হয়েছে: ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একইধরনের খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় এসব খবর যে ফরওয়ার্ড করে, সে দাবি করে যে এই খবর দিয়েছেন চিকিৎসা জগতের সঙ্গে জড়িত কেউ। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এধরনের বহু পোস্টে দেখা যায় এসব তথ্য দিচ্ছেন ''পরিবারের একজন ডাক্তার'' যিনি ভেতরের খবর জানেন বলে দাবি করা হয়। আইবুপ্রুফেন ও কোভিড-১৯ কোভিড নাইনটিন রোগের সঙ্গে আইবুপ্রুফেন ওষুধের সম্পর্ক নিয়ে কোন গবেষণা হয়নি। তবে শ্বাসযন্ত্রের অন্য প্রদাহে এই ওষুধের ব্যবহার থেকে দেখা গেছে, ওই ধরনের সমস্যায় আইবুপ্রুফেন রোগের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বা রোগ আরও মারাত্মক হয়েছে। কিন্তু সেটা শুধু এই ওষুধের কারণে হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন আইবুপ্রুফেনে প্রদাহ নাশক যেসব উপাদান আছে সেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তবে রেডিং বিশ্বদ্যিালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ একথাও বলেছেন যে, \"২৫ বছরের একজন স্বাস্থ্যবান তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর আইবুপ্রুফেন খাওয়ার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে বা নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এমন কোন স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ আমি দেখিনি।\" ফ্রান্স থেকে এই ওষুধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাসে প্রদাহ-নাশক ওষুধ খাওয়া উচিত কিনা এমন সন্দেহ প্রকাশ করে টুইট করেন যা ৪৩ হাজার বার শেয়ার করা হয়, যদিও তিনি এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেবার কথা বলেছিলেন। এমন টুইটও ৯৪,০০০ বার শেয়ার হয়েছে যেখানে বলা হয় তরুণ, মাঝবয়সী, এমনকী স্বাস্থ্য ঝুঁকি যাদের নেই তাদের জন্যও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আইবুপ্রুফেন মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিবিসির 'রিয়ালিটি চেক' লিখছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে একমত পোষণ না করায় এই আইবুপ্রুফেনের ব্যবহার নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মানুষের কাছে মিশ্র বার্তা পৌঁছেছে এবং অনলাইনে নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। বিবিসির রেচেল শ্রেইয়ার, জ্যাক গুডম্যান এবং অ্যালিস্টেয়ার কোলম্যানের রিপোর্ট", "doc2": "A yayin da ake bayar da sahihan bayanan kiwon lafiya kan cutar, haka kuma ana ci gaba da watsa labaran karya a kanta. Masana kiwon lafiya sun shaida wa BBC cewa ba su bayar da shawarar yin amfani da ibuprofen domin yin riga-kafin coronavirus ba. Sai dai sun ce mutanen da ke shan ibuprofen domin maganin wasu cutukan za su iya ci gaba da yi idan ba likitoci ne suka hana su sha ba. Kwayoyin maganin paracetamol da ibuprofen suna rage zafin jikin mutum da kuma warkar da mura. Amma bai dace kowanne mutum ya sha ibuprofen da dangoginsa ba domin yana haifar da wata illar - musamman ga mutanen da ke fama da tarin asthma, ko ciwon zuciya. A baya dai, hukumar lafiya ta Burtaniya ta wallafa a shafinta cewa babu laifi idan mutum ya yi amfani da paracetamol da ibuprofen. Amma tun tuni ta sauya matsayinta inda ta ce \"babu wata kwakkwarar hujja da ke nuna cewa shan kwayoyin ibuprofen zai iya ta'azzara coronavirus (Covid-19) ... don haka ku ci gaba da amfani da paracetamol domin shawo kan alamun cutar coronavirus, har sai likitoci sun gaya muku cewa bai kamata ku yi amfani da paracetamol ba.\" Hukumar lafiya ta Burtaniya ta kara da cewa ka da mutanen da likitoci suka ba su shawarar shan ibuprofen su daina, har sai sun gaya musu su dakata. Ko da yake har yanzu ba mu sani ba ko ibuprofen na da tasiri kan tsanani ko kuma girman cutar da kwayar cutar coronavirus ke haddasawa - a kan mutanen da ke da lafiya ko wadanda ke fama da rashinta. Dr Charlotte Warren-Gash, ta the London School of Hygiene and Tropical Medicine, ta ce, mutanen da ke da yiwuwar kamuwa da cutar, \"da alama zai yi kyau a gare su su rika shan paracetamol a matsayin zabinsu na farko\". Kazalika akwai wasu shaidu da ke alakanta ibuprofen da zazzabi mai zafi daga sauran cutukan da suka shafi numfashi. Labaran karya Amma kowacce shawara aka bayar game da amfani da ibuprofen, akwai labaran karya sosai da ake watsawa a kansa a shafukan intanet. Sakonnin karya da ake watsawa a WhatsApp sun hada da wadanda ke cewa: • \"An kwantar da matasa hudu a sashen bayar da agajin gaggawa na asibitin Cork wadanda ke fama da cutar - dukkan su suna shan maganin rage radadi kuma ana fargabar hakan zai haifar da cutuka masu zafi\" (labarin karya) • Jami'ar Vienna ta aike da sakon da ke gargadin mutanen da ke nuna alamun kamuwa da coronavirus kada su sha ibuprofen, \"saboda an gano cewa yana kara hayayyafar da coronavirus Covid-19 ke yi a gangar jiki kuma wannan ne dalilin da ya sa aka samu ta'azzarar cutar a tsakanin 'yan kasar Italiya da ma yaduwar cutar sosai.\" (labarin karya) • \"A Jami'ar Toulouse da ke Faransa, akwai matasa hudu da ke fama da matsananciyar cutar coronavirus wadanda ba sa fama da wasu cutukan. Matsalarsu ita ce, lokacin da suka ji alamar kamuwa da coronavirus, sun rika shan magungunan rage radadi irin su.\" (labarin karya) Wadannan labaran da ake watsawa a manhajar WhatsApp, ana kuma yada su a sauran shafukan sada zumunta ciki har da Instagram. Galibi ana ikirarin cewa wani ne wanda mutanen da ke yada wadannan labaran suka sani ya turo musu domin su watsa. Dukkan wadannan labaran karya ne Kungiyar likitocin cutuka masu yaduwa ta Ireland ta ce sakonnin da ake watsawa a WhatsApp kan masu fama da coronavirus a Cork \"karya\" ne, inda ta yi kira ga duk wanda ya samu sakon ya yi watsi da shi. Asibitin Jami'ar Toulouse ya yi gargadin cewa labaran karya kan cutar na bazuwa a shafukan sada zumunta, yana mai cewa babu yadda zai yi bayani kan matsayin rashin lafiyar mutane saboda hakan ba daidai ba ne a likitance. Me aka sani a kan alakar ibuprofen da Covid-19? Babu wani bincike da ya alakanta ibuprofen da coronavirus (Covid-19). Sai dai akwai wasu bincike da ke alakanta wasu cutukan numfashin da ibuprofen wanda ke cewa shan maganin na ta'azzara cutukan - ko da yake bamu sani ba ko ibuprofen din ne da kansa yake ta'azzara cutukan, a cewar Paul Little, wani farfesa kan kiwon lafiya a Jami'ar Southampton. Wasu masana sun yi amannar cewa sinadaran da ke cikin ibuprofen masu rage radadi ka iya \"durkusar\" da garkuwar jikin mutane. Farfesa Parastou Donyai ta Jami'ar Reading ta ce: \"Akwai bincike da dama da suka nuna cewa yin amfani da ibuprofen ga cutar numfashi ka iya ta'azzara cutar ko ma ya haifar da wasu matsalolin na daban.\" Amma ta ce, \"Ban ga wata hujja ta kimiyya ba wacce ta bayyana karara cewa mutum dan shekara 25 wanda lafiyarsa kalau kuma ya sha ibuprofen saboda ya ga alamar COVID-19 zai fada cikin matsala ba.\" Paracetamol ya kare a yawancin shagunan sayar da magani Watsa labaran karya ya kawo rudani Fargabar da ake nunawa game da amfani da ibuprofen ta sake fitowa fili a Faransa, bayan Jean-Louis Montastruc, wani likita a Asibitin Koyarwa na Jami'ar Toulouse ya yi gargadi a Twitter cewa: \"A wannan lokaci na coronavirus, yana da matukar muhimmanci a tuna amfani da magungunan rage radadi na ta'azzara zazzabi.\" Wani sako da ministan lafiyar Faransa, Olivier Veran, ya wallafa a Twitter ya ce yin amfani da magungunan rage radadi \"yana iya ta'azzara cutar\" da mutum ke fama da ita kuma an yada sakon a Twitter fiye da sau 43,000. Sai dai ya kara da yin kira ga mutane su tuntubi likita kafin daukar kowanne mataki. Ana yayata wasu sakonnin Twitter cikin su har da wanda ke cewa ibuprofen \"zai iya haifar da matsananciyar rashin lafiya a tsakanin kananan yara da manya mutane masu fama da rashin lafiya\" wanda aka yayata shi fiye da sau 94,000 a Twitter. Rashin masu matsaya iri daya daga wurin masana kiwon lafiya ya sa ana watsa labarai masu mabambantan ra'ayi da ma labaran karya a shafukan intanet, kuma jami'ai a dakin binciken kimiyya na Jami'ar Vienna sun wallafa wani bayani mai harshen damo a harshen Turancin Ingilishi da kuma Jamusanci. Rahoton daga Rachel Schraer da Jack Goodman da kuma Alistair Coleman"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53378960", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53379104", "doc1": "''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,'' বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেখানে তিনি আহত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ''আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে, কিন্তু আমার মতে, সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গা রয়েছে,''হোয়াইট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গও করেছেন। তবে শনিবার তিনি বলেছেন, ''আমি মনে করি, যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এরকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক এবং মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো একটা ব্যাপার।'' গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, ''আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।'' তিনি আরও যোগ করেন যে, মাস্ক পরলেও তাকে দেখতে অনেকটা 'লোন রেঞ্জারের' মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছেন আমেরিকান কল্পকাহিনীর একজন নায়ক, যিনি তার আদিবাসী আমেরিকান বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিমা আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। তবে গত এপ্রিল মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য সবার জন্য জনসম্মুখে মাস্ক পরার সুপারিশ করে, মি. ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি সেটা করবেন না। ''আমি এটা করবো বলে মনে হয় না,'' তিনি তখন বলেছিলেন। ''মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক, রাজা, রানীদের স্বাগত জানাচ্ছি- এমনটা দেখা যাবে বলে আমি মনে করি না।'' গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তাঁর সহকারীরা। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ লুইজিয়ানা রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে ইন্ডিয়ানা রাজ্যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে কারণ তার স্বজনরা জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে তাকে শেষ দেখার জন্য তারা আসতে পারছেন না। ড্যানিয়েল লি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ সোমবার কার্যকর করার কথা ছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "\"Ina ganin ba laifi ba ne saka takunkumi,\" in ji shugaban An ga shugaban sanye da takunkumi ne lokacin da ya ziyarci wani asibitin soja da Washington inda ya gana da sojojin da suka ji rauni da kuma ma'aikatan lafiya. \"Ban taba adawa da saka takunkumi ba amma nasan akwai lokaci da kuma wurin da ya dace,\" a cewar Trump bayan ya fice zuwa Fadar White House. A baya shugaban ya taba cewa ba zai taba sanya takunkumi inda ya yi shagube ga abokin hamayyarsa Joe Biden saboda ya sa takunkumi. Amma a ranar Asabar ya ce \"Ina ganin idan kana asibiti, musamman a wani yanayi, inda zaka yi magana a gaban sojoji da mutane da dama, ina ganin ya fi dacewa ka saka takunkumi.\" A wata hirarsa da kafar Fox a makon da ya gabata, Mista Trump ya nuna cewa takunkumi ba nasa ba ne inda ya kwatanta kansa da Lone Ranger labarin wani gwarzo da wani abokinsa Amurkawa da suka yi yakin da ake kira American Old West Amma lokacin da hukumar dakile cutuka masu yaduwa a watan Afrilu ta fara shawartar mutane su dinga rufe hanci a bainar jama'a domin dakile bazuwar cutar, a lokacin Mista Trump cewa ya yi ba zai bi umurnin ba. \"Ban yi tunanin zan iya saka wa, a cewarsa a lokacin. \"Sanya takunkumi yayin da nake magana da shugabanni da Firaministoci da sarakuna - ban ga yiyuwar haka ba.\" Wasu rahotanni na kafafen yada labarai sun ce masu taimakawa wa shugaban sun sha fada masa cewa ya dinga saka takunkumi. Wane hali ake ciki yanzu haka a Amurka? Cikin sa'a 24 mutum 66,528 suka kamu da cutar korona, kuma yanzu cutar ta kashe mutum 135,000 tun bullarta, a cewar alkalumman Jami'ar Johns Hopkins Louisiana ta kasance jiha ta baya-bayan nan da ta tilasta saka takunkumi a bainar jama'a. Gwamnan jihar dan jam'iyyar Democrats John Bel Edwards ya bayar da umurnin rufe wuraren shan barasa da takaita bude wuraren cin abinci inda aka hana mutane zuwa cin abinci. Kuma sabbin matakan za su fara aiki ne daga ranar Litinin. Ana tunanin 'yan majalisar jihar daga bangaren 'yan Republican za su kalubalanci matakin. Makwabciyarta Texas an sake samun mutum 10,500 da suka kamu da cutar a ranar Asabar. Gwamnan South Carolina ya bayar da umurnin haramta sayar da giya bayan karfe 11:00 na dare domin rage bazuwar cutar korona."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53922399", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53948133", "doc1": "মানবদেহের কোষে বিভি'র জীবাণু। প্লস বায়োলজি নামে এক জার্নালে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে বলা হচ্ছে যে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী দেহে এই রোগ বাসা বাঁধে। তবে বিভি কোন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগ নয়। নারীর ভ্যাজাইনা বা যোনিতে সাধারণ যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেখানে কোন ভারসাম্যের অভাব দেখা গেলে বিভি হতে পারে। যারা এই রোগের শিকার হন, তাদের দেহে বিভি'র কোন উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। তবে তাদের যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসৃত হয়। মানুষের মুখে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে তা নারীর যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে কী প্রভাব পড়ে, এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সেটাই দেখার চেষ্টা করেছেন। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস কী? বিভি এমনিতে কোন সিরিয়াস অসুখ না। তবে যেসব নারী বিভি-তে আক্রান্ত হন, তারা অন্যান্য যৌনরোগের শিকার হতে পারেন এবং তাদের মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। সন্তানসম্ভবা নারীর ক্ষেত্রে বিভি-তে আক্রান্ত নারীর সন্তান স্বাভাবিক সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কীভাবে জানবেন আপনার বিভি হয়েছে? বিভি নারী স্বাস্থ্যের একটা সাধারণ সমস্যা। যাদের ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হয়, তাদের যোনি থেকে এক ধরনের রস নিঃসৃত হয় এবং তাতে উৎকট আঁশটে গন্ধ থাকে। যোনি থেকে যে স্বাভাবিক রস বের হয়, বিভি হলে তার রঙ এবং ঘনত্বে পরিবর্তন দেখা যায়। সেই যোনি রস পাতলা পানির মত হয় এবং দেখতে অনেকটা ঘোলাটে সাদা হয়। আপনার বিভি হয়েছে কিনা, তা আপনার ডাক্তার বলে দিতে পারবেন। যোনি রসের নমুনা পরীক্ষা করে বিভি-র উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, জেল কিংবা ক্রিম ব্যবহার করে সংক্রমণ দূর করা হয়। নতুন গবেষণায় কী জানা যাচ্ছে? বিভি নেই যেসব নারীর, তাদের যোনিতেও বহু 'ভাল' ব্যাকটেরিয়া থাকে। এদের বলা হয় ল্যাকটোব্যাসিলাই। এরা পিএইচ লেভেল কমিয়ে যোনিপথের অ্যাসিডিক বা অম্ল ভাব ধরে রাখে। কিন্তু কখনও কখনও এই স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যটি বিনষ্ট হলে যোনিতে অন্যান্য জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বেড়ে যায়। এ রকমটা কেন ঘটে, তা পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট না। তবে নীচের কারণগুলোর জন্য বিভি হতে পারে: আরও পড়তে পারেন: কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার: কেন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে? ভারতে ঋতুমতী নারীরা কেন জরায়ু ফেলে দিচ্ছেন? নারী স্বাধীনতা বলতে কী বোঝেন নারীরা এবং পুরুষেরা? প্লস বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মানুষের মুখ গহ্বরে মাড়ির রোগ কিংবা ডেন্টাল প্লেক থাকলে তাতে যে ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়, তার কারণে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর আচরণ সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা মানুষের যোনি এবং ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। তারা দেখেছেন, বিশেষ একটি ব্যাকটেরিয়া - ফুসোব্যাকটেরিয়াম নিউক্লিয়েটাম - বিভি'র সাথে সম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়াগুলোর বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই গবেষণার সাথে জড়িত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অ্যামান্ডা লুইস এবং তার সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, ওরাল সেক্স থেকে কোন কোন সময় নারীর যোনিতে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে, এই গবেষণা থেকে সেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। দুটি নারীর মধ্যে লেসবিয়ান সম্পর্কসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন সঙ্গমের ফলে বিভি হতে পারে - একথা বিশেষজ্ঞদের অজানা নয়। ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সেক্সসুয়াল হেলথ-এর মুখপাত্র অধ্যাপক ক্লডিয়া এস্টকোর্ট বলছেন, এই গবেষণার মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরও পরিষ্কার হবে। অন্য কোন সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌনরোগের জীবাণু এবং নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া স্ত্রী অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।", "doc2": "Ƙwayoyin cuta na BV BV ba cuta ba ce da ake yaɗawa ta hanyar jima'i. Kwayar cuta ce da yawanci ake samu ta hanyar sa baki a al'aurar mace. Matan da suke ɗauke da cutar ba za su ji alamomi ba, amma kuma wasu za su dinga ganin ruwa mai wari na fita. Masu bincike sun gano girman illar cutar da ake ɗauka a baki da yadda take rayuwa ta girma a al'aurar mace. Game da BV Kwayar cutar BV ba ta cika yin tsanani ba, amma ya kamata a gaggauta magance cutar da wuri domin samun cutar zai iya haifar wa mata cututtuka da ake samu wurin jima'i da kuma cutar mafitsara. Idan mace tana da ciki, yana ƙara hatsarin haihuwar ɗan tayi. Ta ya ake gane an kamu da cutar? Ba sabon abu ba ne kuma matan da ke ɗauke da cutar za su dinga ganin wani ruwa da yake fita mai wari. Za a ga sauyin yanayin fitar ruwan, zai koma fari-fari da ruwa-ruwa. Likita zai iya buƙatar a yi gwaji domin tabbatar da ko ana ɗauke da kwayar cutar ta BV. Idan har aka tabbatar da ana ɗauke da cutar, za a iya magance ta da magunguna ko mai na shafawa. Me bincike ya gano? Matan da ba sa ɗauke da cutar na dauke da wasu kwayoyi masu muhimmanci da ake kira lactobacilli da ke kare gaban mace. A wasu lokuta wadannan sinadarai na iya raguwa da tasiri ko rage ruwan da ke ƙara wa mace ni'ima. Babu cikakken bayanai kan abin da ke haddasa hakan, amma alamomin kamuwa da cutar sun haɗa da: Binciken kimiyyar lafiya ta PloS Biology ya nuna yadda alakar cutuka da ake kamuwa a baki ko dadashi ke taimakawa wajen haddasa BV. Sun yi gwaji a al'aura domin gano yadda wannan cuta take. Cutar da ake dauka a baki, Fusobacterium nucleatu, na taimakawa wajen habaka sauran cutuka da ke janyo BV. Masu binciken, Dr Amanda Lewis ta jami'ar California da abokan aikinta, sun ce sun gano yadda amfani da baki yayin jima'i ke taimakawa wajen haddasa cutar BV. Masanan sun fahimci yadda BV ta samo asali daga jima'i, har a tsakanin mata 'yan maɗigo. Farfesa Claudia Estcourt, kakakin kungiyar kwararru kan cutukan da ake dauka ta jima'i da HIV a Burtaniya, ta ce bincike irin wannan na da muhimmanci domin yana fahimtarwa kan cuta irin BV. ''Mun san cewa BV cuta ce mai sarƙaƙiya saboda akwai abubuwa da dama da ke janyo ta.'' Ta ce jima'i ta baki na yada cutuka da ake kamuwa da su ta jima'i da kwayoyin cuta da ke iya lahani ko rashin tasiri ga lafiya. Karin labaran da zaku iya karantawa"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52274038", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-52268692", "doc1": "কারফিউ এর সময় পুলিশের গুলিতে ১৩ বছরের ছেলে নিহত হওয়ার পর পরিবারের শোক। নাইরোবির এক হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিতে এসেছেন এক নারী। ৩২ সপ্তাহের অন্তসত্ত্বা। ডা. শীলা আটিয়েনোকে* সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হচ্ছে তার ওপর। এরকম কাজ তিনি এর আগেও বহুবার করেছেন। কিন্তু এবারের শিশু জন্ম নেয়ার ঘটনাটি ঘটছে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা এই নারীকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত। কাজেই আর দশটি স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানের ঘটনা এটি নয়। ডা. আটিয়েনো একজন ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তার সঙ্গে আছেন আরও কয়েকজন ডাক্তার। যেসব গর্ভবতী নারীর করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব এই দলটির ওপর। করোনাভাইরাসের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। খুবই নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে ডা. আটিয়েনোর জীবন। তিনি নিজেও দুই শিশু সন্তানের মা, দুজনের বয়সই দুই এর নীচে। তিনি আমাকে বলছিলেন, “আমি এমন সব গর্ভবতী মায়েদের দেখাশোনা করছি যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত, খুবই কঠিন মনে হয় ব্যাপারটা।” “আমাকে এখনই কোন রোগীর সিজারিয়ান সেকশন করতে হবে। এর মানে হচ্ছে রোগীর দেহের অনেক রক্ত এবং বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসতে হবে আমাকে। অপারেশন করার সময় আমার শরীর যদিও ঢাকা থাকবে খুবই সুরক্ষিত স্যুটে। এই স্যুটটি পরলে বেশ গরম লাগে, আর মোটেও আরামদায়ক নয়।” “আর যখন আমি বাড়ি ফিরে যাই, বাচ্চারা দৌড়ে আসবে আমার কোলে উঠার জন্য। কিন্তু কাপড়-চোপড় বদলে, গোসল করে, স্যানিটাইজার মেখে পরিচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমি ওদের ছুঁতে পারি না।” “মানসিকভাবে, আবেগের দিক থেকে, এটা বেশ কঠিন। কিন্তু আমার তো কোন উপায় নেই- নতুন শিশুকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসা, সেটাই আমার কাজ। সেটা পৃথিবীতে মহামারি থাকুক আর না থাকুক।” গির্জায় মাত্র ছয়জনকে নিয়ে ফ্রান্সিস আর ভেরোনিকার বিয়ে নববিবাহিত দম্পতি তরুণ দম্পতি ফ্রান্সিস এবং ভেরোনিকা গিটোংগা হানিমুনে এসেছেন নিয়াহুরুরু এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়িতে। নাইরোবি থেকে জায়গাটা প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। তারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন গত ৫ই এপ্রিল। প্রায় ৫০০ জনকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু যখন শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি হলো, গির্জায় ঢুকতে দেয়া হয়েছিল মাত্র ৬ জনকে। বর, কনে, এক দম্পতি এবং দুজন যাজক। আর কেউ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি পাননি- না তাদের বাবা-মা, পরিবার, না কোন বন্ধু-বান্ধব, গ্রামবাসী। কোভিড-নাইনটিনের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, তাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না বহু মানুষ। এই দম্পতি যখন বাড়িতে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান করলেন, সেখানে যেতে পেরেছিলেন মাত্র ১২ জন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে সব কিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে পারতেন। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, এর মধ্যেই বিয়ে করবেন। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটি নিয়ে তাদের কোন দুঃখ আছে কীনা যে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব তাদের অনুষ্ঠানে আসতে পারলেন না। “না, আমাএদর কোন দুঃখ নেই”, বললেন মিস্টার গিটংগা, যিনি নিয়াহুরুরুর গির্জায় কাজ করেন। ‍‍“আমাদের মনে হচ্ছিল ঈশ্বর যেন আমাদের বলছেন, বিয়েটা করে ফেলতে। আমি আর ভেরোনিকা তো একে অন্যকে গভীরভাবে ভালোবাসি। গির্জায় ঈশ্বরের সামনে আমরা দুজন এক সঙ্গে জীবন বাঁধবো, সেটাই তো আমরা সবসময় চেয়েছি।” মিস্টার গিটংগা আমাকে বললেন, কোভিড-নাইনটিন কেবল তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাই বদলে দেয়নি, কিছু অপ্রত্যাশিত সুফলও এনেছে। “বিয়ের অনুষ্ঠান করতে আমাদের খরচ করতে হতো প্রায় তিন লাখ কেনিয়ান শিলিং (২৮০০ ডলার)। কিন্তু অতিথিরা না আসায়, খাবারের খরচ এবং হল ভাড়ার খরচ বেঁচে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজার শিলিং খরচ হয়েছিল।” “এখন আমরা কেনিয়ার নানা জায়গা থেকে অনেক ফোন কল পাচ্ছি তরুণদের কাছ থেকে। আমরা যে ধুমধাম করে বিয়ে করে অনেক ধার-দেনায় পড়িনি, এরকম জাঁকজমকহীনভাবে বিয়ে করলাম, সেটা নাকি তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।” এক বিশ্ব মহামারীর মাঝখানে মিস্টার এবং মিসেস গিটংগার এই বিয়ে আসলেই একটি সত্যিকারের ভালোবাসার কাহিনি। কেনিয়ার এক ‘নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি‌’তে এরকম ছোট্ট, অন্তরঙ্গ এবং কম খরচের বিয়েই হয়তো আমরা দেখবো। একটি শোকার্ত পরিবার করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার যখন সন্ধ্যার পর কারফিউ জারি করেছিল, তখন ১৩ বছরের এক বালক ইয়াসিন হোসেইনকে গুলি করে হত্যা করেছিল পুলিশ। এরকম ঘটনার শিকার ইয়াসিন একা হয়নি। দেশজুড়ে পুলিশ কঠোর হাতে যখন এই কারফিউ জারি করেছে, তখন তাদের মার খেয়ে হাত-পা ভেঙ্গেছে বহু মানুষের, গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। কেনিয়ার এই পুলিশ বাহিনীর শ্লোগান আবার “সবার সেবায় নিয়োজিত।” কোভিড-নাইনটিন যেন রাষ্ট্রের মদতে নতুন বর্বরতার দরোজা খুলে দিল। ইয়াসিনের বাবা হোসেইন মোয়োর কন্ঠে ঝরে পড়লো কেনিয়ার বহু মানুষের ক্ষোভ। তার ছেলের জানাজায় তিনি বলেছিলেন, ‍“দিনের বেলায় আমাদের ভাইরাসের ভয়ে থাকতে হয়, আর রাতের বেলায় থাকতে হয় পুলিশের সন্ত্রাসের ভয়ে।” ইয়াসিনের কবরের পাশে প্রার্থনা করছে তার বন্ধুরা এবং আত্মীয়-স্বজন কেনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ কাজ করেন অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতে, তাদের আয়-রোজগার খুবই সামান্য। রেডিও-টেলিভিশনে এখন শোনা যায় তারা এখন এক সঙ্গে তিন শত্রুর মোকাবেলা করছেন- করোনাভাইরাস, ক্ষুধা আর পুলিশ। বিদ্রুপের শিকার এক রাজনীতিক জেমস ওরেংগো এক সুপরিচিত রাজনীতিক। বিরোধী দল অরেঞ্জ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট থেকে নির্বাচিত একজন সেনেটর। কেনিয়ার সাধারণ মানুষের মনোভাব তিনি ভালোই আঁচ করতে পারেন। তিনি একজন আইনজীবীও। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সেনেটের এক অধিবেশনে তিনি খারাপ আইন পাশ করার বিপদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন তারা যেন নিজেদের বেশি নিরাপদ না ভাবেন। “অনেক সময় কিন্তু বিপ্লবের সন্তানরাই এর শিকার হন…সরকার নিজেই তাদের নিজেদের লোকজনকে ধ্বংস করে। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, এই সরকার কিন্তু আমাকে যতটা না শাস্তি দেবে, তার চেয়ে আপনারা বেশি শাস্তি পাবেন, আমি আপনাদের বলে রাখছি। আর এক বছর পর আপনারা আমার অফিসে এসে আমার কাছে কান্নাকাটি করবেন, যাতে আমি আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করি।” জেমস ওরেঙ্গো দেশটির বিরোধীদলের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। কেনিয়ায় তার এই কথাটি এখন হরহামেশাই উল্লেখ করেন লোকজন। কিন্তু কিছুদিন আগে মিস্টার ওরেংগো যখন একটি টুইট করেন, তখন তিনি জনগণের মনোভাব বুঝতে ভুল করেছিলেন। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, ‍“নিজে গাড়ি চালিয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছিলাম কোভিড-নাইনটিন টেস্ট করাতে। এই বিশ্ব মহামারি মোকাবেলায় নির্দেশনা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তার এই টুইটের যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হলো, তা মারাত্মক। কেনিয়ার একজন ক্রুদ্ধ হয়ে পাল্টা টুইট করলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ তাহলে কোথায় যাব? রাজনীতিকরা তাহলে সত্যিই মনে করেন নিজে গাড়ি চালানো বিরাট এক বাহাদুরি? এই দেশের হয়েছেটা কী”? কোভিড-নাইনটিন সংকটের পর গণমাধ্যমে যে রাজনীতিকদের আর অতটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা যেন কেনিয়ার মানুষ বেশ উপভোগ করছেন। কেনিয়ার গণমাধ্যম যেন একটা অলিখিত নিয়ম মেনে চলছে- রাজনীতিকদের আপাতত নিউজ এজেন্ডার বাইরে রাখো যদি না তারা মেডিক্যাল বা প্রাসঙ্গিক কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে এই সংকট নিয়ে কথা বলেন। রাজনীতিকরা নিশ্চয়ই দুঃশ্চিন্তায় আছেন- তাদের ছাড়া জীবনে যদি কেনিয়ানরা অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন কি হবে? সৌভাগ্যবান বন্দী কোভিড-নাইনটিনের কারণে কেনিয়ায় এখন অনেক বিচার কাজ ডিজিটাল হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের নির্দেশ জারি করছেন ভিডিও লিংকে। বিশ্বজুড়ে গভর্নররা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন এই ভেবে যে, বন্দীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে কিনা। সুপারমার্কেট থেক বাইবেল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল এমন একজন এর সুবিধাভোগী। পুলিশ কাস্টডিতে থাকা লোকটি ভিডিও লিংকে ম্যাজিস্ট্রেটের কথা শুনছিলেন। যখন শুনলেন, বিচারক কোন বন্ড ছাড়াই তাকে জামিন দিয়েছেন এবং বিচার চলাকালীন সময়ে তাকে বন্দী থাকতে হবে না, তখন তিনি বেশ খুশি। কোভিড-নাইনটিন মোকাবেলায় সরকার কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে চাইছে। প্রায় ৪ হাজার ৮শ মানুষকে এর মধ্যেই মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাইবেল চুরির মামলা হয়েছে যার বিরুদ্ধে, তিনি নিশ্চয়ই এখন অন্য কেনিয়ানদের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দেবেন– ঈশ্বর যেন কোভিড-নাইনটিনের মহামারি থেকে তাদের রক্ষা করে। জীবন যে আর আগের মতো থাকবে না, এটা একদম পরিস্কার। *এই ডাক্তারের আসল নাম ব্যবহার করা হয়নি, কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি তার নেই।", "doc2": "Wasu iyalai na zaman makokin mutuwar wani yaro dan shekara 13 da 'yan sanda suka harbe bayan sanya dokar hana zirga-zirga Sheil Atieno na jiran kotakwana domin taimakawa wata mata dake da cikin da yakai mako 32 domin ta haihu. Dakta Atieno ta yi irin wannan taimako da yawa kafin wannan, amma ita wannan haihuwar zata zama ta daban ne shi ne dalili. An kai mai cikin ne wani asibitin gwamnati dake Nairo babban birnin kasar, bayan an yi mata gwaji anga tana dauke da coronaviru. Dakta Atieno, jami'ar tuntuba ce wajen tiyatar mata, da take cikin wata tawagar likitocin da aka amince su rika kula da matan da suka nuna alamun kamuwa da cutar. Jami'an kiwon lafiya na cikin mummunan hadari kamuwa da coronavirus Rayuwar Dakta Atieno ta sauya a hankali. Tana da yara biyu kuma dukkansu 'yan kasa da shekara biyu. \"Da matukar wuya yadda muke fama, musamman yadda nake lura da iyaye mata dake dauke da wannan cuta\" kamar yadda ta shida mani. \"Ina daf da yin wata tiyatar fitar da jariri, wadda yawanci ke da alaka da fitar da ruwan jikin mata. Duk da cewa sai na sanya kayan kariya zan gudanar da tiyatar amma tana matukar tayar da hankali da kuma sanya dimuwa. \"Duk lokacin da naje gida, yarana basa son zuwa su rungumeni. Nima kuma ba zan iya taba su ba har sai na nayi wanka na kuma tsaftace kaina na sauya kaya. \"Abu ne mai matukar muya da tausayi. Amma ba ni da wani zabi da ya wuce hakan - aikina ne in karbi haihuwa ko da wannan annoba ko babu, in ji Dakta Atieno.\" Francis da Veronica sun kwashe wata shida suna shirye-shiryen abin da za su kashe a aurensu Sababbin Aure Francis da Veronica sun kwashe wata shida suna shirye-shiryen abin da za su kashe a aurensu Francis da Veronica sabbin ma'aurata ne da ke cin amarcinsu a kauyensu na Nyahururu, wanda ke da tazarar kilomita 200 daga Nairobi. Sun yi shirin a daura aurensu a ranar 5 ga watan Afrilu. Sun gayyaci mutane 500 domin su shaida wannan lokaci mai cike da tarihi a rayuwarsu, da su biyun za su ce: \"Na yarda!\" Amma yayin auren mutane shida ne kawai aka amince su shiga cikin cocin domin shaida auren- amarya da ango, sai manyan abokansu biyu da kuma fasto biyu da za su daura auren. babu iyaye, babu yan uwa, babu abokansu na kauye. Dokar nisantar juna da dokar takaita tafiye-tafiye da cutar Covid-19 ta janyo, ta hana daruruwan mutane halartar aurensu. Ma'auratan sun gudanar da walimar aurensu a gida da wasu mutum 12. Suna da damar dage auren nasu har sai komai ya daidaita, amma suka zabi su yi yanzu. Na tambayi ma'auratan ko sun yi nadama da ba su daga auren ba - ta yadda yan uwa da abokan arziki za su halarta. \"Aa babu wata nadama da muka yi,\" in ji Gitonga, wanda ke aiki a cocin Redeemed Gospel dake Nyahururu. \"Mun ji kamar Ubangiji ne ya ce kawai a daura auren. Bayan haka kuma, Ni da Veronica muna son junanmu sosai, ba mu san junanmu ba kafin Ubangiji ya hada mu a coci. Mista Gitona ta shaida min cewa Covid-19 ba kawai shirin aurensu ta sauya ba, ta kuma bijiro da wasu alfanu da ba su taba zatoba. \"A shirin da muka yi aurenmu zai lakume kimanin kudin Kenya shillings 300,000 kimanin dalar Amurka 2,800. Amma da baki ba su zo ba, ba kuma mukarbo hayar komi ba, a karshe Shillins 50,000 muka kashe. \"Yanzu kuma muna ta samun kira daga mutane daban-daban daga sassan Kenya, suna cewa mun basu karfin gwiwar yin nasu auren a wannan yanayin maimakon shirya babban aure wanda a karshe sai su kar da bashi a kansu.\" Auren wadannan mutanen ya zama babban labari a lokacin da ake tsaka da annobar coronaviru. Haka kuma ta sauya tsarin rayuwa a Kenya - 'yar karamar soyayya - da ta dace da tsarin aljuhinmu mutane yayin yayin aure. Zaman makokin da iyalan keyi Yayin dokar ta baci da gwamnati ta kakaba a wani mataki na dakile yaduwar cutar, jami'an 'yan sanda sun harbe Yassin Hussien Moyo. Yassin ba shi kadai abin ya rutsa da shi ba. Mutane da yawa a fadin kasar na jinyar 'yan uwansu da suka karye da wadanda suka ji munanan raunuka da dama saboda aikin jami'an 'yan sanda na musamman da aka yi wa take da \"Aiki don jin dadin kowa\". Covid-19 ta bude wa gwamnati damar yin kama karya. Mahaifin Yassin, Hussein Moyo, ya sosawa mutan kenya in da yake musu kaikayi yayin jana'izar dan nasa. \" da rana muna fama da tsoron cutar coronavirus da daddare kuma muna fama da kama karyar 'yan sanda.\" Yan uwa da abokan arziki na addu'a a gefen kabarin Yassin Mafi yawan 'yan Kenya dake samun kudi ba daga gwamnati ba, na korafin a gidajen radiyo da talabijin kan yadda suke fama da makiya uku - sabuwar cutar coronavirus, da yunwa da kuma 'yan sanda. Dan siyasar da aka tsangwama James Orengo tsohon shahararren dan siyasa kuma zababben sanata ne daga babbar jam'iyyar adawa ta Orange Democratic Movement (ODM). Galibin yana yin abin da hankulan 'yan kasar suka karkata a kai ne. James Orengo dan siyasa ne da yayi fice tare da wani lauya a tsaye A wani zama na musamman na sauraren karar zabe a Junairun 2017, Mista Orengo wanda lauya ne, yayi magana kan hadari da ke tattare da zartar da dokoki mara sa kyau, kuma ya yiwa wakilan jam'iyya mai mulki jan kunnan kar su za sun saki jiki a gwamnati. \"A mafi yawan lokuta juyun juya hali na zama sanadin mutuwar 'ya'yansu..... gwamnati ta hallaka mutanensu. Wannan gwamnati za ta hukunta ku sama da yadda zata hukunta ni, ina kuma shaida muku, nan da shekara mai zuwa za ku zo ofishi na kuna kuka kuna neman na wakilce ku. Wannan bayanin mutan Kenya na matukar amfani da shi. Amma da zuwan Covid-19 bai fahimci yanayin da jama'a ke ciki ba lokacin da ya wallafa a shafinsa na Tiwita: \" Na tuka kaina zuwa majalisa domin amin gwajin Covid-19. Donmin bin ka'idar da aka shin fida don yaki da wannan annobar. Martani mai zafi ya dawo cikin gaggawa. \"To ina ya ku bayi ake so su tuka kansu su je?\" Tiwitan da wani dan Kenya yayi kenan, wani ma ya lkara da cewa: \"Yan siyasa na zaton don sun tuka kansu sun yi wani babban abu ne. Meke damun wannan kasar ne?\" Overall, the Covid-19 crisis has wiped away politicians' ubiquitous presence from the media and Kenyans seem to be enjoying the peace and quiet. Akwai abubuwan da ba a maganar su a kafafen sadarwa saboda doka - hana 'yan siyasa sa maganganu a labarai sai dai game da abin da ya shafi kiwon lafiya da makamantansu. Dole 'yan siyasa su damu kan mai zai faru in mutan Kenya suka saba rayuwa ba tare da su ba. Dan gidan yarin dake da sa'a Covis-19 ta tilastawa alkalai da kotunan majistiret a Kenya aiki da intanet domin gudanar da ayyukansu. Daya daga cikin wadanda suka ci gajiyar hgakan wani mutum da ake zargin ya saci littafin injila a kantin zamani. Bayan ci gaba da sauraron karar ta talabijin lokacin da ke karkashin kulawar yan sanda. Ya matukar jin dadin cewa yanzu za a ci gaba da sauraron karar tasa a matsayin mutum mai 'yanci kuma alkalin yayi umarni a sake sa ba tare da biyan ko sisi ba. Gwamnatoci a duniya na matukar nuna damuwa game da halin 'yan kurkuku kan coronavirus Yana daga cikin shirin gwamnatin na yaki da Covid-19 rage cunkoso a gidajen yari, wanda kuma tuni aka saki firsinoni 4,800 masu kananan laifi. Babu mamaki mutumin da ake shari'arsa a kotu kan injila zai yi amfani da littafin ne domin addu'ar dakatar da yaduwar Covid-19 a fadin Kenya. Akwai tabbacin rayuwa ba za ta dore a haka ba. Likitan da muka ambata mun sakaya sunanta saboda yarda da tayi ta yi magana da mu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50808638", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50714365", "doc1": "ভারত সরকারের দাবি প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তারা নাগরিকত্বের পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগান বংশোদ্ভূত। ভারত সরকারের যুক্তি যে এসব দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে, কারণ তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের কারণে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এই আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে সব সংখ্যালঘুকে নাগরিকত্বের সুযোগের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা আসলে কেমন? - বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বিবিসি নিউজের 'রিয়েলিটি চেক' টিম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ পাকিস্তানে দিওয়ালী উৎসব উদযাপন অমুসলিমদের সংখ্যা কত? ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পাকিস্তানের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৯৫১ সাল থেকে নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। কারণ ১৯৪৭ এর পর থেকেই পাকিস্তান থেকে অমুসলিমদের ব্যাপক অভিবাসন হয়েছে ভারতে। মিস্টার শাহ বলেন, ১৯৫১ সালে পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলো জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ, যা তার মতে নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আরও কমেছে। কিন্তু মিস্টার শাহের দেয়া সংখ্যা চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত কারণ এটি সঠিক নয়। যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছেম, তা ছিল তখনকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে। বরং আদম শুমারি বলছে পশ্চিম পাকিস্তানের হিন্দু জনগোষ্ঠী সংখ্যা খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি। তবে আদম শুমারি অনুযায়ী ১৯৫১ সালের তুলনায় বাংলাদেশের অমুসলিম জনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ে ১৯৫১ সালে ২২ বা ২৩ শতাংশের জায়গায় ২০১১ সালে সেটি এখন মোট জনসংখ্যার আট শতাংশের মতো। সুতরাং বাংলাদেশে অমুসলিম জনগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও পাকিস্তানে এই হ্রাসের হার কম ও কিছুটা স্থিতিশীল। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে আরও অমুসলিম সংখ্যালঘু আছে - যেমন খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি। পাকিস্তানে আহমদিয়ারাও আছেন যাদেরকে ১৯৭০০-এর দশকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেশটিতে তাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। ফলে আহমদিয়ারাই পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আফগানিস্তানে হিন্দু, শিখ, বাহাই এবং খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘুদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর শূন্য দশমিক তিন শতাংশ মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের হিসেব মতে, ২০১৮ সালে মাত্র সাতশো' শিখ ও হিন্দু আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে সংঘাতের কারণে। বাংলাদেশে হোলি উৎসব অমুসলিমদের সরকারি মর্যাদা কেমন? ভারত সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে বলা হয়েছে, \"পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংবিধানে একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রধর্ম আছে। ফলে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকে ধর্ম বিশ্বাসের কারণে নিপীড়নের শিকার হন\"। এটা সত্যি যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং আফগানিস্তানও একটি ইসলামিক রাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। দেশটি ১৯৭১ সালে আবির্ভূত হয়েছিলো ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান নিয়ে। কিন্তু ১৯৮৮ সালে ইসলামকে করা হয় রাষ্ট্রধর্ম। একটি দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে ২০১৬ সারে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার কথা বলেছে। যদিও তিনটি দেশের সংবিধানেই অমুসলিমদের সব অধিকার ও বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকই গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন, যার মধ্যে প্রধান বিচারপতির পদও রয়েছে। দিল্লির একটি ক্যাম্পে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের একটি দল সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে? বাস্তবে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ব্লাসফেমি আইনের কথা উল্লেখ করে বলছে যে আইনটি সুনির্দিষ্ট নয় এবং পুলিশ ও বিচারবিভাগ প্রায়ই এটি প্রয়োগ করে, যার ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন। ভারতে গিয়েছেন এমন পাকিস্তানী হিন্দুদের কয়েকজন সাম্প্রতিক কালে বিবিসিকে বলছেন যে তারা সামাজিক ও ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হন, বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে হয়রানি করা হয়। কিন্তু এটাও সত্যি যে ভারতের নাগরিকত্ব বিলে আহমদিয়াদের রাখা হয়নি। যদিও এরা মুসলিমদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হন বলে অভিযোগ আছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্লাসফেমি আইনে বেশি মামলা হয়েছ মুসলিম ও আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে - হিন্দু বা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে নয়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। কখনো আবার তাদের সম্পদ দখলের জন্য তাদের জোর করে বাড়িঘর ত্যাগ করতে বাধ্য করার চেষ্টা হয়েছে। হিন্দুরা অনেক সময় ধর্মীয় জঙ্গিদেরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তবে বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, \"সংখ্যালঘু নির্যাতনের দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে নেই\"। জাতিসংঘের ডেটা বলছে, ভারতে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে ২০১৬-১৯ সালে ১৭ শতাংশ হয়েছে। চলতি বছর অগাস্টে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থায় তালিকাবদ্ধ শরণার্থীদের বড় অংশ এসেছে তিব্বত ও শ্রীলংকা থেকে।", "doc2": "Wani mai sharhi ya kira dokar da wani mummunan mataki da gwamnatin Modi ta dauka Dokar wadda ke cike da ce-ce-ku-ce, na bukatar a samar da izinin zama dan kasa ga tsiraru wadanda ba Musulmai ba a Pakistan da Bangladesh da kuma Afghanistan. Gwamnatin ta India wadda jam'iyyar BJP ta 'yan kabilar Hindu ke jagoranta, ta ce yin hakan zai ba wa mutanen da suka tserewa rikicin addini kariya. Tuni dai masu sharhi suka ce wannan doka wani bangare ne na shirin jam'iyyar BJP, na mayar da Musulmai saniyar-ware. Zartar da kudurin wannan doka, zai zamo wani ma'auni ga jam'iyya mai mulkin India, wadda ke da rinjaye a majalisar wakilan kasar, amma ta ke da rashin rinjaye a majalisar dattawa. Don haka akwai bukatar dukkanin majalisun kasar biyu su sake yin nazari a kan kudurin dokar. Tuni dai kudurin dokar ya janyo gagarumar zanga-zanga a bangaren arewa maso gabashin kasar wanda ke da iyaka da kasar Bangladesh, inda mutanen yankin ke ganin bakin da suke shigowa ta iyakokinsu za su iya fin karfin anan gaba. Me dokar ta kunsa? Kudurin dokar ya yi gyara ne a kan kudurin dokar da ya haramta wa bakin haure damar kasancewa 'yan kasar India wanda aka yi shi tsawon shekara 64. A cikin kudurin dokar, an bayyana bakin haure a matsayin baki 'yan wata kasa wadanda suka shiga kasar ba tare da takardar izinin shiga ba, haka kuma an kayyade musu iya lokacin da za su zauna a kasar. Ita kuwa sabuwar dokar, gyara aka yi a kan ta da inda aka ba wa irin wadannan baki damar zama a kasar har ma da yin aiki a karkashin gwamnatin kasar har zuwa tsawon shekara 11, kafin daga bisani kuma su yi nemi izinin kasancewa 'yan kasa. 'Yan gudun hijrar India daga Pakistan a wani sansani da ke Jammu Yanzu mutanen da suka fito daga addinai da suka hadar da Hindu da Sikh da Buddhist da Jain da Paris da kuma Kiristanci, idan har daga Pakistan suka fito, to za su iya zama ko aiki a Inida ne har tsawon shekara shida kafin su zama cikakkun 'yan kasa. Kazalika wadanda su kuma suke da takardar shaidar 'yan kasa ta India da ke zaune a wasu kasashen a 'yanci rani, to zasu iya rasa shaidar zama 'yan kasar idan har suka take wasu dokoki na kasar. Me yasa dokar take da ce-ce-kuce? Masu adawa da sabon kudurin dokar, sun ce wannan doka sam ba ta dace ba ta kuma sabawa tanade-tanaden kundin tsarin mulkin kasar. Kundin tsarin mulkin kasar dai ya hana wariyar a kan addini a kan kowanne dan kasa, sannan kuma dukkan 'yan kasar matsayinsu guda. Wani lauya a kasar Gautam Bhatia, ya ce raba 'yanci rani ta fuskar addini ba abu ne mai alfanu ba. Da yake kare dokar, wani jagora a jam'iyyar BJP, Ram Madhav, ya ce ba bu wata kasa a fadin duniya ta za ta amince da bakin haure. Shima da ya ke kare kudurin dokar, R. Jagannathan, editan mujallar Swarajya, ya ce ware musulmai daga cikin dokar zai haifar da gagarumar matsala. Menene tarihin kudurin dokar? An fara gyara a kan kudurin dokar zama dan kasa a majalisar dokokin kasar a Yulin 2016. Dokar ta samu amincewa a majalisar wakilan kasar inda jam'iyyar BJP ke da rinjaye, amma kuma ba ta zama doka ba saboda rashin zartar da ita da majalisar dattawan kasar ta yi bayan zanga-zangar da aka samu a arewa maso gabashin kasar ta India. Gwamnatin India ta ce akwai bukatar ayi rijitar katin dan kasa domin gano bakin haure Ta yaya rijistar 'yan kasa za ta shafi dokar? Abubuwan biyu na da alaka sosai, saboda gyaran fuska a dokar zama dan kasar za ta taimakawa wadanda ba muslmai ba wadanda ba sa cikin rijistar. Masu ra'ayin 'yan mazan jiya na zanga-zangar kin 'yan gudun hijrar Rohingya"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57219019", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-57227008", "doc1": "লাল হয়ে গেছে গোমা শহরের আকাশ। শনিবার রাতে হঠাৎ করেই মাউন্ট নিরাগঙ্গ থেকে ঝর্ণার মতো লাভা নির্গত হতে থাকে। এসময় কুড়ি লাখ মানুষ অধ্যুষিত গোমা শহরের আকাশে রক্তিম ঘন মেঘের সৃষ্টি হয়। লাভার স্রোত এক পর্যায়ে শহরের বিমানবন্দর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। তবে সেই স্রোত এখন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। আগ্নেয়গিরিটি গোমা শহর থেকে ছয় মাইল দূরে। এর আগে ২০০২ সালে এই আগ্নেয়গিরি থেকে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। সেসময় ২৫০ জনের মতো নিহত হয়। ঘরবাড়ি হারায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। লাভার স্রোত থেকে নিজেদের বাঁচাতে রবিবার ভোরে শহরের বহু বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী রোয়ান্ডা সীমান্তের দিকে চলে যায়। অনেকেই গিয়ে আশ্রয় নেয় শহরের পশ্চিম দিকের উঁচু এলাকায়। এসময় তাদের ঘরের আসবাবপত্রও সাথে নিয়ে যেতে দেখা যায়। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে লাভার স্রোত। সরকারি ঘোষণার আগেই লোকজন তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের তরফে লোকজনকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। রোয়ান্ডার কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় তিন হাজার মানুষ গোমা থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে। সেদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে যে তাদেরকে স্কুল ও উপাসনালয়ে আশ্রয় দেওয়া হবে। গোমার একজন বাসিন্দা রিচার্ড বাহাতি বলেছেন, তিনি যখন লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান তখন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সম্পর্কে আগে কী বোঝা যায়? কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম লকডাউন বাড়ল আরো এক সপ্তাহের জন্য, তবে বাস-লঞ্চ-ট্রেন চলবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপ রাতে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে \"আমি তখন ঘর থেকে বের হয়ে যাই এবং দেখি যে আকাশ লাল হয়ে গেছে। আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। খুবই দুশ্চিন্তায়। ২০০২ সালেও আমার একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল। এই আগ্নেয়গিরি আমাদের সব বাড়িঘর সম্পদ ধ্বংস করে দিয়েছে। আর একারণেই এবারও আমি ভীত হয়ে পড়ি,\" বলেন তিনি। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গোমা ও বেনি শহরের মধ্যে একমাত্র সংযোগকারী মহাসড়কটি লাভার স্রোতে ডুবে গেছে। সেখানে ভূমিকম্পেরও খবর পাওয়া গেছে। \"সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে পর্বত থেকে কীভাবে আগুন নির্গত হচ্ছে,\" বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন একজন বাসিন্দা ক্রেন এমবালা। আগ্নেয়গিরিটি যেখানে অবস্থিত সেই ভীরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মকর্তা পার্কের স্টাফদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এবারের অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে ২০০২ সালের অগ্ন্যুৎপাতের মিল আছে এবং তারা যেন অনতিবিলম্বে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। তল্পিতল্পাসহ পালাচ্ছে মানুষ। লোকজনকে শান্ত থাকার আহবান জানানো হয়েছে। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে কর্তৃপক্ষের তরফে তাদেরকে পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া হয়নি। এছাড়াও সোশাল মিডিয়াতে এসংক্রান্ত নানা রকমের পরস্পরবিরোধী তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রী প্যাট্রিক মুয়ায় টুইটারে বলেছেন জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সরকার আলাপ আলোচনা করছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজধানী কিনশাসায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পরে তিনি বলেছেন যে লাভার স্রোতের তীব্রতা কমে এসেছে এবং এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাউন্ট নিরাগঙ্গ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি। অভিযোগ উঠেছে এই আগ্নেয়গিরির ওপর ঠিক মতো নজর রাখা হচ্ছে না। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এসংক্রান্ত আর্থিক সহযোগিতা বাতিল করে দেয়। সেন্ট ভিনসেন্ট এর একটি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। গত ১০ই মে অবজারভেটরির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে নিরাগঙ্গতে ভূকম্পন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর অবজারভেটরির পরিচালক বিবিসিকে বলেছিলেন যে আগ্নেয়গিরিটি থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে। এই আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ রকমের উদগীরণ হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। সেসময় ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়।", "doc2": "Aman wutar da dutsen ya yi ya hankada giza-gizan birnin da ke gabashi, wanda ke da yawan mutane miliyan biyu. Mutane sun yi ƙoƙarin kashe wutar a lokacin da ruwan ya kwarara ya mamaye wasu ɓangarorin birnin da tituna. Ana iya ganin wuta a tsakankanin gine-gine a birnin. Mazauna birnin sun tsere da katifunsu da sauran kayansu. Bayan isa unguwannin da ke wajen birnin da filin jirgin sama da ke gabashi, a yanzu ruwan wutar ya daina kwarara. Dubban ƴan Congo, ciki har da yara da tsoffi sun nemi mafaka a maƙwabciyarta Rwanda a lokacin da dutsen ya yi amai. A nan suna bacci da kayayyaki a bisa wani titi a garin Gisenyi a iyakar Jamhuriyar Demokuraɗiyyar Congo. Tsaunin Nyiragongo na ɗaya daga cikin tsaunuka da ke aman wuta a duniya - inda a nan a ke iya ganinsa dada Tsibirin Tchegera a kan Tafkin Kivu a wajen Goma. Duka hotunan na da haƙƙin mallaka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53381492", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53557489", "doc1": "জনতা কারফিউ-র দিনে তালি বাজাচ্ছেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরা আজ (রবিবার) দুপুরে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যার সোয়াব টেস্টের ফলাফলে তাদের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানা গেছে। ভারতের 'টাইমস নাও' নিউজ চ্যানেল জানাচ্ছে, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেও অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন অবশ্য করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হননি – তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এদিন সকালে মুম্বাই পুর কর্তৃপক্ষের তরফে শহরে বচ্চন পরিবারের বাসভবন 'জলসা'-কে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি সিল করে স্যানিটাইজ করছেন পুরকর্মীরা ঘটনাচক্রে এর কয়েক ঘন্টা আগে শনিবার রাতে বলিউডের আর এক লেজেন্ড, অভিনেত্রী রেখার বাসভবনের এক নিরাপত্তারক্ষীও করোনা পাজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর বৃহন্মুম্বই মেট্রোপলিটান কর্পোরেশন (বিএমসি)-র পক্ষ থেকে রেখার বাসভবনের একাংশও সিল করে দেওয়া হয়। অমিতাভ ও রেখা দুজনেই বলিউডে প্রায় সমসাময়িক, তাদের জুটিকেও মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির 'ফোকলোর' বা লোকগাথার অংশ বলে ধরা হয়। রেখা নিজেরও করোনা টেস্ট করাচ্ছেন বলে বিএমসি-কে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক – দুজনকেই মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার রাতে নিজেই টুইট করে অভিষেক অবশ্য জানিয়েছেন, \"আমার ও বাবার এদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে।\" করোনা টেস্ট করাচ্ছেন অভিনেত্রী রেখা-ও \"দুজনেই আমরা হাসপাতালে ভর্তি আছি, তবে আমাদের উপসর্গ মৃদু-ই!\" সাতাত্তর-বছর বয়সী অমিতাভ বচ্চনকে নানাবতী হাসপাতালের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেই একটি ভিডিও পোস্ট করে অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এদিকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যাকে অবশ্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে না – তারা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থেকে কোভিডের চিকিৎসা নেবেন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন", "doc2": "Abhishek Bachchan, Aishwarya Rai Bachchan and Aaradhya all caught Covid-19 Jarumar fina-finan na Indiya, kuma wacce ta taba samun lambar yabo a sarauniyar kyau ta duniya, sun bar asibitin Nanavati ne tare da 'yarta a safiyar ranar Litinin. Mijinta Abhishek Bachchan, ya wallafa sakon godiya a shafinsa na tuwita inda yake gode wa 'yan uwa da abokan arziki saboda addu'ar da aka yi musu shi da iyalansa da ma mahaifinsa a kan samun sauki daga cutar korona da suka kamu da ita. Sai dai Abishekh da mahaifinsa Amitabh Bachchan har yanzu suna asibitin inda suke karbar magani. A farkon watan da muke ciki ne aka kwantar da su a asibiti bayan an yi musu gwaji an ga suna dauke da cutar korona. Aishwarya da 'yarta sun godewa jama'a saboda addu'oin da aka yi musu, kuma tuni suka koma gida. Masoyan Amitabh da dansa a ciki da wajen Indiya na ci gaba da yi musu addu'a a kan samun sauki. Amitabh mai shekara 77, fitaccen jarumi ne a Bollywood, kuma ya yi suna a duniya baki daya. A ranar 12 ga watan Yuli ne ya wallafa a shafinsa na tuwita cewa, ya kamu da cutar korona. Jaya Bachchan, matar Amitabh wadda ita ma jaruma ce ba ta kamu da cutar ba bayan da gwaji ya nuna hakan. Indiya dai ita ce kasa ta uku a yawan wadanda ke da cutar korona a duniya. A ranar Litinin, an samu sabbin mutum 50,000 da suka kamu da cutar korona a cikin sa'a 24 a Indiya, abin da ya kai adadin wadanda suka kamu da cutar miliyan daya da dubu dari hudu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46014484", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/46015619", "doc1": "অক্টোবরে শুরুতে ছবিটি তোলা হয় পালু বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ দেখা যায় বিমানটি সমুদ্রে পড়ে গেছে। তবে বিমানটিতে থাকা কেউ বেঁচে আছে কিনা - তা জানা যায় নি। ফ্লাইট জেটি ৬১০ নিয়মিত ফ্লাইট যেটা জার্কাতা থেকে পেংকাল পিনাং যাতায়াত করে। পেংকাল পিনাং বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারি। কী ঘটেছিল? ফ্লাইট জেটি ৬১০ স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি দেপাতি আমির বিমানবন্দরে এক ঘন্টা পর অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ১৩ মিনিট পর কর্তৃপক্ষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। কর্তৃপক্ষ একটা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিমানটিতে ১৭৮জন প্রাপ্তবয়স্ক, তিনজন শিশু, দুইজন পাইলট এবং পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন ঐ বিমান থেকে মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাগরে ভাসতে দেখা গেছে। আরো পড়ুন: খালেদার অনুপস্থিতিতেই চলবে বিচার কাজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা যেভাবে এগিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি নিয়ে কৃষকরা ক্ষুব্ধ কেন? পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে?", "doc2": "A shekara ta 2013 jirgin na Lion Air ya fada a teku sai dai dukkanin fasinjojinsa sun tsira da rayukansu Fasinjoji fiye da 180 ke cikin jirgin Kirar Boeing 737, wanda ke kan hanyar zuwa yankin Pangkal Pinang da ke tsibirin Bangka. Tuni aka tura tawagar masu bincike da aikin ceto yankin, sai dai babu tabbacin ko an samu wadanda suka rage da sauran rai a jirgin. Jami'ai da ke aiki a kamfanin man kasar ta Indonesia sun ce sun ga tarkacan jirgin, ciki harda kujerun fasinjoji a cikin ruwa da ke kusa da inda suke aiki a teku. Shugaban kamfanin jirgin ya bayyana cewa a yanzu ba za su iya cewa komai ba a game da hadarin, inda ya ce suna kokarin tattara bayanai ne. Jirgin dai ya fara aiki ne a 2016, sannan kuma ya zamo mallakin Lion Air a watan Augustan da ya wuce. 'Yan uwan fasinjojin jirgin sun shiga alhini a Jakarta Wani jami'i a hukumar sufuri ta kasar ya shaida wa BBC cewa dama jirgin yana da 'yan matsalolinsa tun da aka kawo shi kamfanin. Yawanci al'ummar kasar ta Indonesia sun raja'a ne a kan tafiye-tafiye a jirgin sama, amma kuma mafi akasarin jiragensu na da 'yan matsaloli nan da can. Indonesia na cikin kasashen da ke fuskantar koma baya a harkokin sufurin jiragen sama, ko a shekarun baya-baya nan ta fuskanci irin wadanan hadura."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51029124", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51041788", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ভর করবে ইরান এই হামলার কী জবাব দেয় এবং কোন সংঘর্ষ হলে তার প্রকার কী রকম হয়, তার ওপরে। তবে স্বল্পমেয়াদে এর কিছু সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিক প্রাইমারি প্রেসিডেন্ট বাছাই পর্বে, যা মাত্র একমাসের মাথায় শুরু হতে যাচ্ছে। এ বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একজন যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট? প্রথাগতভাবে যখন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট বড় ধরণের পররাষ্ট্রনীতির সংকটে থাকেন, সে অন্তত তাকে জনসমর্থনের দিক থেকে অন্তত কিছুদিনের জন্য কিছুটা সুবিধা এনে দেয়। 'পতাকার চারদিকে দাঁড়াও' মনোভাব ১৯৯১ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশের জন্য সহায়ক হয়েছিল। নাইন ইলেভেন বোমা হামলা এবং আফগানিস্তানে বোমা হামলার পর তখনি প্রেসিডেন্ট বুশের জনপ্রিয়তা রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেগুলো ছিল বড় ধরণের সামরিক সংশ্লিষ্টতা। তবে যখন ঘটনাগুলো ছোট হয়, তখন তার প্রভাব বোঝাও মুশকিল হয়ে পড়ে। ২০১১ সালে লিবিয়ায় বিমান হামলার পরে বারাক ওবামার জনপ্রিয়তার পারদে কোন পরিবর্তন হয়নি। যখন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় মিসাইল আক্রমণ করেন, তখন তার জনপ্রিয়তার পারদ সামান্য উঠেছিল। যদিও তার প্রেসিডেন্সির পুরো সময়টা জুড়ে তার জনপ্রিয়তা প্রায় একই রকম দেখা গেছে। সোলেইমানি হত্যার পর প্রথম জরিপে দেখা গেছে যে, যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, তা নিয়ে জনমনে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। তবে মি. ট্রাম্প অন্য যা কিছুই করেছেন, সেখানেও এরকম দ্বিমত দেখা গেছে। জনসংখ্যার একটি অংশ তার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। আবার আরেকটি অংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ছোট সামরিক বিজয় বা রক্তাক্ত লড়াই যাই হোক না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে সব শেষ ফলাফল অনেকটা একই রকম থাকে। আরো পড়ুন: 'মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনীদের দিন শেষ হয়ে গেছে' 'ট্রাম্প ইরানে হামলা করলে সেটি হবে যুদ্ধাপরাধ' পরমাণু চুক্তি আর না মানার ঘোষণা দিলো ইরান ইরাকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি ড্রোন হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে রিপাবলিকান সমর্থন এক্ষেত্রে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দলের সমর্থকদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন-যেটা তিনি সবসময়ে তার বিতর্কিত বা আলোচিত সব পদক্ষেপেই পেয়েছেন। হাফিংটন পোস্টের জরিপে দেখা গেছে, ৮৩ শতাংশ রিপাবলিকান ওই ড্রোন হামলাকে সমর্থন করেন। সামাজিক মাধ্যমে যারা সোলেইমানি হামলার জের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ট্রাম্পিয়ান একপ্রকার জবাব দেয়া হচ্ছে সমর্থকদের পক্ষ থেকে ''তোমার ক্ষতির জন্য দুঃখিত।'' বেবিলন বি নামের একটি রক্ষণশীল ঘরানার ফান ওয়েবসাইটে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে মজা করা হচ্ছে যে, সোলেইমানির মৃত্যুতে তারা আমেরিকান পতাকা অর্ধনমিত করে রাখছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই নাটকের ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ঘটনাবলী থেকে জাতীয় নজর অন্যদিকে সরে গেছে এবং সিনেটে শুনানি বিলম্বিত হচ্ছে। সোমবার সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি টুইটেও সে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। '' আমাদের দেশের এই ইতিহাসের সময় যখন আমি খুব ব্যস্ত, তখন রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজির মধ্যে সময় কাটানো দুঃখজনক,'' তিনি লিখেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ সোলেইমারি হামলার পর ডেমোক্র্যাট শিবিরে যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে, যা ইরাক যুদ্ধের পর থেকে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। বার্নি স্যান্ডার্স, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চাওয়াদের একজন, খুব দ্রুত তার শান্তিকামী মনোভাব তুলে ধরেছেন। ''আমি ভিয়েতনামের ব্যাপারে ঠিক বলেছিলাম, আমি ইরাকের ব্যাপারে ঠিক বলেছিলাম। ইরানের সঙ্গে একটি যুদ্ধ এড়াতে আমার সাধ্যমত সব কিছুই আমি করবো,'' যুদ্ধবিরোধী প্রয়াসের অংশ হিসাবে একটি টুইটে তিনি লিখেছেন। ''আমাকে কারো কাছেই ক্ষমা চাইতে হবে না।'' টুলসি গ্যাবার্ড, আরেকজন প্রার্থী জোর দিয়ে বিরোধিতা করছেন যাকে তিনি ''শাসক বদলানোর যুদ্ধ'' বলে বর্ণনা করেন, বলেছেন, সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে যুদ্ধে উস্কানি দেয়ার মতো, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিরোধী। তাদের এই বক্তব্য ডেমোক্র্যাট অপর প্রার্থীদের বিপরীত। অন্য প্রার্থীরা কাশেম সোলেইমানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে সহায়তার সমালোচনা করেন তবে তবে হামলার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পিট বুটিগয়েন বলেছেন, '' কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে অনেক গুরুতর প্রশ্ন আছে এবং এর জের হিসাবে যা ঘটতে পারে, তার জন্য কী আমরা প্রস্তুত আছি?'' এলিজাবেথ ওয়ারেন সোলেইমানিকে একজন 'হত্যাকারী' বলে বর্ণনা করেছেন। অ্যামি ক্লোবোচার ওই অঞ্চলের থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ স্যান্ডার্সের দিকে পাল্টা তীর ছুড়েছেন এই বলে যে, তিনি ওই হামলাকে 'গুপ্ত হামলা' বলে যে বর্ণনা করেছেন, তা দেশদ্রোহিতার সামিল। তবে এই শব্দটি বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীই উচ্চারণ করেছেন। ''ইনি এমন একজন ব্যক্তি যার হাতে আমেরিকানদের অনেক রক্ত লেগে রয়েছে,'' বলছেন মি. ব্লুমবার্গ। ''ওই জেনারেলকে হত্যা করে আমরা ভুল কিছু করেছি, এমন কেউ মনে করেন বলে আমি মনে করি না।'' এ নিয়ে দলের প্রগতিশীল এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যখাত পেছনে ফেলে ইস্যু হয়ে উঠেছে এই হামলার ঘটনাটি। ইরান সংকট যদি আরো ঘনীভূত হয়ে ওঠে, তাহলে হয়তো তখন আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠবে সামরিক শক্তি ব্যবহারের বিষয়টি। জো বাইডেনের চ্যালেঞ্জ কাশেম সোলেইমানির ওপর হামলা নিয়ে হাফিংটন পোস্টের জরিপে বেশ কয়েকটি সুসংবাদ বেরিয়ে এসেছে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী জো বাইডেনের জন্য, যেখানে ৬২ শতাংশ ডেমোক্র্যাটিক সমর্থক বলেছেন যে, ইরান প্রসঙ্গে তারা জো বাইডেনকে বিশ্বাস করেন। ফলে তিনি স্যান্ডার্স এবং ওয়ারেনের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। তাদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৪৭ শতাংশ। এ ধরণের প্রতিক্রিয়া অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ জো বাইডেনের পররাষ্ট্র ইস্যুতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আট বছর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং দীর্ঘদিন সিনেট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধান ছিলেন। তবে এই রেকর্ড পুরোপুরিই যে আশীর্বাদ তা বলা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্য এই ইস্যুতে আবার জো বাইডেনের ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধে প্রসঙ্গ ফিরে আসছে, যেখানে তিনি ওই যুদ্ধকে সমর্থন করেছিলেন। আইওয়ায় একজন ভোটারের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, যখন তিনি ইরাক যুদ্ধের সমর্থনে ভোট দিলেও, শুরু থেকেই ওই সংকট সামলাতে প্রেসিডেন্ট বুশের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বিরোধিতা করে আসছেন। ওই যুদ্ধের আগে এবং পরে সমর্থনের কথা জানিয়ে আসছেন বাইডেন। তবে ২০০৫ সালের শুরু দিকে যুদ্ধের সমর্থনে ভোট দেয়ার জন্য অনুশোচনার কথা প্রকাশ করেন। যতই তিনি ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তালগোল পাকাবেন, ততই গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলবে তিনি কি বিভ্রান্তিকর বা অতিরঞ্জিত তথ্য দিচ্ছেন কিনা এবং এটাকে তার একটি দুর্বলতা হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বিরোধীরা। আর কোন অক্সিজেন নয় গাদা গাদা ব্রেকিং নিউজের ভিড়ে ডিসেম্বরের ইমপিচমেন্ট নিয়ে গণমাধ্যমে ততটা মনোযোগ কাড়তে পারেননি ডেমোক্র্যাটরা। এখন যখন সেটি সিনেটে শুনানিতে যাবে, তখন আরেক আলোচনার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইরান। এটা রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন চাওয়া কোরি বুকার, ডেভাল প্যাট্রিক, টম স্টেয়ার এবং আরো কয়েকজন প্রার্থীর জন্য দুঃসংবাদ। যারা এখনো দৌড়ে রয়েছেন কিন্তু জরিপ বলছে, প্রাইমারির জন্য তারা বেশ পিছিয়ে পড়েছেন। ভোটাররা যদি দেশের বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে, তখন ক্লোবুচারের মতো প্রার্থীদের তহবিল সংগ্রহেও সমস্যা তৈরি করবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রচারণায় সেই প্রার্থীই বেশি সুবিধা পাবেন যিনি শেষের দিকে বেশি আলোচনায় থাকবেন। যেখানে ইরান সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, সেটার ফলাফল জানতে হয়তো আরো খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে।", "doc2": "Kusan a iya cewa a yanzu komai da ke faruwa ana danganta shi da siyasa, haka kuma shi ne babban labari a ko'ina. Yayin da wutar rikici ke kara ruruwa tsakanin kasashen Iran da Amurka, za a dauki dogon lokaci ba a warware ba, hasali ma ya danganta ne ga martanin da Iran ta maida kan kisan babban kwamandan nata wanda shi ne zai kara hasashen abin da zai faru nan gaba. Idan har Amurka ta janye sojojin ta daga Iraki, siyasar da ke ciki za ta sake daukar dumi. Za a samu bangarori biyu, wato wadanda za su yi farin ciki har da shagali, yayin da daya bangaren za su yi kadaran-kadahan wato ba yabo ba fallasa. A taikace wannan hari zai yi tasiri ta fuskoki da dama, haka kuma wannan zai shafi zaben fidda gwani na shugaban kasa da za a yi a kasa da wata daya da kuma babban zabe da za ayi a watan Nuwambar bana. Lokacin shugaba mai yaki? Da ma bisa al'ada shugaban Amurka yakan fuskanci matsin lamba musamman idan na samun rikice-rikice daga kasashen waje, kuma dole a samu wani bangare da Amurka za ta karkata akai dan taimakawa. Misali yakin yankin gabas ta tsakiya da aka yi a shekarar 1999, shugaban Amurka na lokacin George W Bush ya yi uwa da makarbiya a ciki. Haka kuma George D Bush shi ma an ga irin rawar da ya taka da abin da ya biyo bayan harin 11 ga watan Satumba, da hare-haren da aka kai kasar Afghanistan. Haka kuma shugaba Barack Obama bai ga wani sauyi ba kan amincewa Amurka ta kai hare-hare a lokacin da kasar Libya ta fada yaki a shekarar 2011. A lokacin Shugaba Trump ya harba makamai masu linzami kasar Syria a matsayin martani kan amfani da makamai masu guba da gwamnatin shugaba Basharul Assad ta yi, hakan ya kara nuna karfin ikon da ya ke da shi da irin matakan da zai iya dauka kan wata kasa idan bukatar hakan ta taso. Binciken farko da aka yi bayan harin da aka kai wa Qasem Soleimani, ya nuna Trump zai fuskanci kakkausar suka kan yadda ya tafiyar da lamarin. Yayin da ya ke da ikon daukar matakin, akwai kuma matukar damuwa kan abin da hakan zai haifar tare da sukar shugaban ''bai yi kyakkyawan shiri da tuntuba kafin ya dauki matakin ba.'' An kai hari cikin kankanin lokaci, sojoji sun yi gagarumar nasara amma takaitacciya, an zubar da jini. To amma sakamakon ne har yanzu ake hasashen yadda za ta kaya idan har sai Iran ta maida martanin da ba a san wanne iri ne ba. Goyan bayan jam'iyyar Republican Shugaba Trump zai iya amfana da abin da ya faru, kamar yadda kullum ake masa kallon ya na yin galaba musamman kan irin kalamansa masu janyo cece-kuce. Kamar yadda shafin intanet na Huffington Post da ke bibiyar yadda Amurkawa ke kallon shugaban, ya nuna kashi 83 cikin 100 na 'yan jam'iyyar Republican sun amince a kai hari ta saman kan tawagar Soleimani. A bangare guda kuma magoya bayan shugaban suna kallon harin da aka kai ga Soleimani wata sabuwar hanya ce ta karfafa manufar siyasa da Trump ya yi amfani da ita. A shafukan sada zumunta kuwa, duk wadanda ke goyon bayan Trump da ake ganin sun dan nuna damuwa kan abin da suke iya wallafawa shi ne ''sannu, lallai kun yi rashi.'' Wani shafin intanet mai suna Babylon ya wallafa wani shagube kan cewa jam'iyyar Democrat za ta sauke tutar Amurka kasa a matsayin alhini kan mutuwar Soleimani. Idan muka je yankin gabas ta tsakiya, wani sabon abin kallo ne wanda zai karawa shugaban farin jini da dauke hankali kan shirin tsige shugaba Trump da 'yan majalisar dokokin Amurka ke yi. Wannan shi ne kuma abin da shugaban ya tashi da shi, a ranar Litinin da safe tare da wallafawa a shafinsa na Twitter. \"Abin takaici ne yadda suka maida hankali kan gabar siyasa da bita da kulli, ni kuwa gani nan ayyuka ma sun yi min yawa.'' Wata dama ga Democrat A bangaren jam'iyyar Democrat kuwa, harin da aka kai ya hallaka Soleimani zai kara musu wata dama ta kin goyon bayan masu neman rigima a cikin jam'iyyar da ba a kara jin bakin ta ba tun bayan yakin da aka yi a kasar Iraki. Dan takarar shugaban kasa na gaba a jam'iyyar Democrat Bernie Sanders ya yi saurin yin jawabi kan aniyarsa ta son zaman lafiya. ''Abin da na fada a kan Vietnam gaskiya ne. Haka abin da na fada a kan Iraki shi ma gaskiya ne. Zan yi duk abin da ya dace da karfin ikon da nake da shi dan kaucewa yaki da kasar Iran,'' wannan shi ne sakon da ya wallafa a shafinsa na Twitter ciki har da takaitaccen bidiyon da a ciki ya ke kokarin bayani kan kaucewa yaki. ''Babu wanda zan bai wa hakuri.'' Wata 'yar takara Tulsi Gabbard, ta bayyana karara ba ta ji dadin abin da ya faru ba inda suka ce \"gwamnatoci sauya yaki suke yi\", ta ce harin da aka kai wa Soleimani neman yin yaki ne da Iran, kuma ya sabawa kundin tsarin mulkin Amurka. Wadannan kalaman nata sun banbanta da na sauran 'yan takarar jam'iyyar Democrat, wadanda sukai allawadai da taimakon da Soleimani ke bayarwa dan yakar Amurka. ''Akwai tambayoyi mai tarin yawa kan yadda aka dauki matakin, sannan ko mun shiryawa abin da zai biyo baya,'' inji Pete Buttigieg. Yayin da Elizabeth Warren ta kira Soleimani da \"mai kisan kai\", ita kuwa Amy Klobuchar damuwa ta nuna kan makomar sojojin Amurka da yankin. A bangare guda tsohon magajin garin New York Michael Bloomberg ya maida martani ne kan kalaman Sanders, inda ya ce ''abin takaici'' kuma bai da ce Sanatan ya kira harin da \"kisa ne\" kalmar da yawancin 'yan Democrat ke amfani da ita. An samu rarrabuwar kawuna a dukkan jam'iyyar a kan shirin kiwon lafiya a lokacin da akai muhawara tsakanin 'yan takarar shugaban kasa. Idan rikicin Iran ya kara zafafa, amfani da karfin soji ka iya kasancewa wani batu da za a kara samun rabuwar kawuna tsakanin 'yan takarar. Kalubale ga Biden Kididdigar Huffpost poll kan harin da ya hallaka Soleimani wani daddadan labari ne ga dan takarar shugaban kasa Joe Biden, inda kashi 62 cikin 100 na 'yan Democrat da masu mara musu baya suka nuna sun yadda da shi idan ana batun kasar Iran. Yayin da Warren da Sanders kuma suka samu kashi 47 cikin 100 suka nuna amincewa da su duk dai kan batun. Ba wani abin mamaki bane ka samu irin wannan sakamakon, saboda kowa da yadda yake kallon abubuwan da suka shafi siyasar kasashen waje. Idan aka yi waiwaye za mu ga yadda Biden ya ja hankalin yankin gabas ta tsakiya na nuna goyon baya a yakin da aka yi a kasar Iraki a shekarar 2003. Da yake bai wa wani mutum amsar tambayar da yayi a ranar Asabar a Iowa, Biden ya ce duk da ya kada kuri'ar amincewa da yakin da aka yi a kasar Iraki a bangare guda kuma ya soki lamirin Shugaba Bush kan yadda ya tafiyar da yaki tun da fari. Biden dai ya bayyana goyon baya karara kan yakin tun da aka fara, a bangare guda kuma ya bayyana yin danasani da amincewar a shekarar 2005. A duk lokacin da Biden ya wallafa goyon bayan yakin Iraki a shafinsa na Twitter, su kuma ma'abota shafukan sada zumunta sai su yi ca akan shi, tare da juya batun zuwa wata fuskar ta yadda hankali zai kara raja'a a kai. Tsige Trump bai yi tasiri ba Tamkar yunkurin tsige Shugaba Trump da aka fara a watan Disambar bara bai yi wani tasiri ba, idan aka yi la'akari da yadda ake ci gaba da samun tuttudowar manyan labarai da dumi-duminsu a Amurka, a yanzu kasar Iran za ta shiga takara da 'yan majalisar dokokin Amurka kan tsige Mista Trump ta amfani da irin martanin da za ta maida kan kisan Janar Soleimani. Sai dai ba labari ne mai dadi ba ga kananan 'yan takara kamar Cory Booker, da Deval Patrick, da Tom Steyer da wasu tsiraru da ke fadi tashin ganin an andama da su, a daidai lokacin da ake shirye-shiryen muhawarar zaben fidda gwani a nan gaba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45821963", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-45833107", "doc1": "জামাল খাসোগজি, সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এসব রেকর্ডিং-এ দেখা যাচ্ছে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কনসুলেটের ভেতরে জামাল খাসোগজিকে আটক করেছে, তারপর তাকে হত্যা করেছে এবং তার দেহকে খণ্ড-বিখন্ড করেছে। বিশেষভাবে অডিও রেকর্ডিং থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের যোগসাজশের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে তারা বলছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা, যিনি এই অডিও এবং ভিডিও সম্পর্কে জানেন, তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, \"জামাল খাসোগজি কনসুলেটের ভেতরে ঢোকার পর সেখানে কী ঘটেছিল তার একটা ধারণা ঐ অডিও রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে।\" \"আপনি শুনতে পাবেন লোকজন আরবিতে কথা বলছে,\" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, \"আপনি শুনতে পাবেন তাকে (জামাল খাসোগজিকে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে এবং পরে খুন করা হচ্ছে।\" তুর্কী কর্তৃপক্ষ অন্য যে মার্কিন কর্মকর্তাকে এই প্রমাণ দেখিয়েছে, তিনি বলছেন এসব রেকর্ডিং থেকে জামাল খাসোগজিকে মারধরের প্রমাণ মিলেছে। সৌদি গোয়েন্দা দলের ওপর সিসিটিভি ফুটেজ। জামাল খাসোগজি এক সময় সৌদি রাজপরিবারের খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচনা করে তিনি সংবাদপত্রে লেখা ছাপিয়েছেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের ঐ খবরে বলা হয়েছে, মি. খাসোগজি নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথেই তুরস্ক কেন সৌদি আরবকে দোষারোপ করেছে এসব প্রমাণ থেকে তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, কিন্তু তুর্কী সরকার এসব অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ করতে নারাজ কারণ এতে প্রমাণ হয়ে যাবে যে তুরস্ক একটি বিদেশি দূতাবাসের ভেতরে গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে। সৌদি আরব এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। মি. খাসোগজির অন্তর্ধানের ঘটনা যৌথভাবে তদন্ত করার জন্য তারা তুরস্কের প্রতি প্রস্তাব দিয়েছে এবং আঙ্কারা সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমাদের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক কী ঝুঁকিতে পড়েছে? তারেককে ফেরত আনার পথ কেন এখনও কঠিন? দালাইলামার ব্যক্তিগত জীবন আসলে কেমন? কেন সৌদি কনস্যুলেটে এসেছিলেন জামাল খাসোগজি? মি. খাসোগজির কনস্যুলেটে আসার উদ্দেশ্য ছিল, তার পূর্বতন স্ত্রীকে যে তিনি ডিভোর্স (তালাক) দিয়েছেন - এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়া, যাতে তিনি তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে পারেন। জামাল খাসোগজির সৌদি কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য। মি. খাসোগজি তার মোবাইল ফোনটি মিস চেঙ্গিসের হাতে দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। মিজ চেঙ্গিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মি. খাসোগজি এ সময় বিমর্ষ এবং মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন - কারণ তাকে ওই ভবনে ঢুকতে হচ্ছে। হাতিস আরো বলেন, মি. খাসোগজি তাকে বলেছিলেন যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে তিনি যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। হাতিস চেঙ্গিস, জামাল খাসোগজির হবু বধু। তিনি জানান, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি জামাল খাসোগজিকে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন নি। বুধবার সকালবেলা কনস্যুলেট খোলার সময় তিনি আবার সেখানে উপস্থিত হন। তখন পর্যন্ত মি. খাসোগজির কোন খোঁজ মেলেনি। তার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ।", "doc2": "Kwanaki 10 kenan rabon da a ji duriyar Jamal Khashoggi An rawaito Jami'an Amurka da Turkiyya na cewa hotunan da aka dauka na tattare da shaidar cewa tawagar jami'an Saudiyya sun tsare Mista Khashoggi a lokacin da ya je ofishin jakadanci don karbar wasu takardu, sannan suka kashe shi. Saudiya dai ta musanta ta na da hannu a bacewar Mista Khashoggi. Kamfanonin yada labarai sun janye daga halarta wani taron masu zuwa jari da za a gudanar a birnin Riyadh na Saudiya kasa da makonni biyu masu zuwa, saboda damuwar da ake nunawa a kan batar dan jaridar kasar Jamal Khashoggi. Yau kwana 10 ba a ji duriyar Mista Khashoggi ba, tun bayan da ya kai ziyara ofishin jakadancin Saudiya da ke birnin Santanbul na Turkiyya. Kamfanonin yada labaran da suka da jaridar New York Times da The Financial Times da The Economists, sun ce za su kauracewa taron da zai ja hankali da kuma samun halartar manyan jiga-jigai a harkokin kasuwanci a duniya. A London, Jakadan Saudiya a Burtaniya ya shaida wa BBC cewa ba zai iya cewa komai ba har sai an kammala binciken hadin-gwiwa tsakanin Turkiyya da Saudiyar. Shugaba Trump dai ya ce ba zai soke cinikin sayar wa Saudiyar makamai ba a kan kudin da suka haura dala miliyan 100, a kan wannan batu. Mista Trump ya ce, sadaukar da wannan yarjejeniyar ciniki barazana ce ga ayyukan Amurka. Wani dan majalisar dattawan Amurka Chris Van Hollen, ya ce Amurka kan yi suka idan har aka ci zarafin bil adama a Saudiyya, to amma a wannan karon gwamnatin Trump ba ta cewa uffan ba. Gwamnatocin baya na da kyakyawar alaka da Saudiyya kuma hakan bai sa sun ajiye akidojinsu ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51276037", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/51275598", "doc1": "চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে আর দেশটিতে নতুন এ করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজারেরও বেশি। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ কিংবা চলাচলে আরও বাধানিষেধ আরোপ করেছে চীন সরকার। উহান শহর, যেখান থেকে প্রথম এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছ, সেই শহরটি কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওদিকে চীনের বাইরেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। পুরো চীন জুড়ে বহু শহরে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? ভাইরাসটি এমন সময়ে ছড়ানো শুরু করলো যখন চীনা নববর্ষ পালিত হতে যাচ্ছে যে সময়টিতে লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর, আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ করে থাকে। তবে ভাইরাস সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য চীন সরকার নববর্ষের ছুটি তিনদিন বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকজনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটি তার নাগরিকদের চীনা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছে, বিশেষ করে উহান যেই প্রদেশে সেই হুবেই ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। আরও কিছু দেশ জরুরি প্রয়োজন না হলে নাগরিকদের চীন ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে আর কিছু দেশ উহানে আটকে পড়া তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে চীনের বাইরে এখনো কারও মারা যাওয়ার খবর আসেনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আমরা পুরো অবরুদ্ধ: উহান থেকে বাংলাদেশি ছাত্রী উহানের বাংলাদেশিদের বিচলিত না হবার আহ্বান যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীনে করোনাভাইরাস কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?", "doc2": "Birnin Wuhan wanda nan ne Coronavirus ta fara bulla ya kasance babu shiga babu fita Hakama sun sanar da cewa adadin wadanda suka kamu ya ninka. Kididdiga ta nuna cewa kawo yanzu wadanda suka mutu sanadin cutar Coronavirus sun kai 106, kuma adadin wadanda suka kamu ya kai 4,515 daga 2, 800 a ranar litinin. Wannan ne ya tada hankalin Sin, kuma a yanzu kasar ta kara tsaurara matakan hana zirga zirga da nufin hana yaduwar cutar. Birnin Wuhan wanda nan ne Coronavirus ta fara bulla ya kasance babu shiga babu fita. Babban abun da ya fi daga hankalin hukumomi shine rashin samun maganin wannan cuta da ke kawo matsala wurin numfashi. Bincike ya nuna cewa mafi yawan wadanda suka mutu tsofaffi ne ko kuma wadanda dama ke fama da wata cuta da ke da alaka da numfashin. Kusan za a ce Chana ta rasa abunyi a yanzu, wurin ganin ta kawar da cutar. Hukumar lafiya ta duniya ta tabbatar da cewa mutane 47 sun kamu a wajen Chana Kuma masana na ganin yawan jama'a a yankin na daya daga cikin abubuwan da suka dada dagula al'amura. Birnin Wuhan kawai na da mutun miliyan 11, baya ga sauran birane da ke yankin Hubei. Ganin halin da a ke ciki ya sa kasashe a fadin duniya sun fara kira ga al'ummarsu da su kauracewa zuwa Chana. Kuma tuni kasashe kamar Amurka ta fara shirin kwashe yan kasarta da ke Wuhan da ma ma'aikatan da ke ofishin jekadancinta a fadin kasar har sai yadda hali yayi. A yanzu hukumar lafiya ta duniya ta tabbatar da cewa mutane 47 sun kamu a wajen Chana, kuma Jamus ce ta baya bayan nan. Kuma akwai hasashen cewa Coronavirus na shirin kutsa kai nahiyar Afrika."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50729711", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/55805994", "doc1": "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতে। হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান জেরি ন্যাডলার এবিষয়ে আইনের যে দুটি ধারা প্রকাশ করেছেন তার প্রথমটিতে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের এবং দ্বিতীয়টিতে তার বিরুদ্ধে সংসদের কাজে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে মি. ট্রাম্প ইউক্রেইনকে দেয়া অর্থ সাহায্য স্থগিত করেছিলেন। তবে মি. ট্রাম্প বরাবরই এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে আসছেন, এবং তার বিচারের এই পুরো প্রক্রিয়াকে 'পাগলামি' বলে বর্ণনা করেছেন। জুডিশিয়ারি কমিটি যদি এই দুটি ধারা অনুমোদন করে তাহলে সেটি হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে পূর্ণাঙ্গ ভোটের জন্য তোলা হবে। আর সেখানে সেটি পাশ হলে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে সংসদীয় বিচার শুরু হবে। প্রেসিডেন্টের বিচারের ওপর আইন নিয়ে কথা বলছেন জেরি ন্যাডলার, হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ভারতে তীব্র প্রতিবাদ, বন্‌ধ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি অমিত শাহের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি গত সেপ্টেম্বর মাসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অভিযোগ করেন যে অর্থ সাহায্য স্থগিত রাখার প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি টেলিফোন সংলাপ তিনি নিজে শুনেছেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলছেন, এটা যে হবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। কয়েকমাস ধরেই তিনি এ নিয়ে খবর পাঠাচ্ছিলেন। \"তার পরও জুডিশিয়ারি কমিটির সভাপতি যখন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বড় মাপের অপরাধ এবং বিধিবহির্ভূত কাজের অভিযোগ করেন তখন আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।\" হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ যদি প্রেসিডেন্টের বিচারের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে মি. ট্রাম্প দু'জন সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন (১৮৬৮) এবং বিল ক্লিনটনের (১৯৯৮) কাতারে গিয়ে দাঁড়াবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শুধু এই তিনজন প্রেসিডেন্টের বিচার প্রক্রিয়া এভাবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এসবই ইতিহাস। জন সোপেল বলছেন, প্রশ্ন হলো এর পর কী ঘটতে যাচ্ছে? এই প্রক্রিয়া কি মি. ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আশাকে ধূলিসাৎ করবে, নাকি মার্কিন ভোটাররা একে তাদের প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা প্রচেষ্টা হিসেবে দেখবে?", "doc2": "Daftarin ya kunshi tuhuma guda da ake yi wa shugaban ta yi wa magoya bayansa angiza mai kantu wajen afkawa Majalisar a farkon wannan watan. Sai a watan Fabrairu ne majalisar za ta fara sauraron shari'ar da za a yi wa tsohon shugaban, don bawa Shugaba mai ci Joe Biden damar mayar da hankali kan ajandarsa. 'Yan majalisar dattijan na Democrats na buƙatar' yan Republican goma sha bakwai don kama Trump da laifi, wanda hakan zai hana shi sake rike wani mukami na gwamnati, ko ma sake tsayawa takara har abada. Daruruwan magoya bayansa ne suka suka kutsa kai cikin ginin majalisar dokokin kasar da ke Washington a daidai lokacin da 'yan majalisar ke yunkurin tabbatar da nasarar zababben shugaban kasar Joe Biden. Hargitsin ya haifar da mutuwar farar hula 4 da jami'in dansanda 1. Wannan mamaye da aka yi wa majalisar ya zo ne jim kadan bayan Trump ya yi jawabi ga magoya bayansa, inda ya ce \"Ba za mu saduda ba, ba za mu amince da shan kaye ba.\" Wasu ƴan jam'iyyar Republican dai na suka a kan cewa kamata ya yi a ƙyale shugaban ya sarara tunda dai an miƙa mulki cikin kwanciyar hankali. A nasu ɓangaren yan jam'iyyar Democrat na ganin cewa dole ne a tauna tsakuwa don aya ta ji tsoro, ta yadda irin haka ba za ta sake faruwa ba a nan gaba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52949471", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-52939890", "doc1": "পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করার জন্য আইনি সুরক্ষার বিষয়টি খুবই বিতর্কিত মিনেসোটায় পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যে ব্যাপক প্রতিবাদ ও দাঙ্গা হয়েছে তাতে গণচাপের মুখে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ডেভিড শওভিন নামে একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যার অভিযোগ, যা পরিকল্পিত ছিল না। এই পুলিশ অফিসার ২৫শে মে মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে তার হাঁটু দিয়ে মি. ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছিল প্রায় নয় মিনিট ধরে। আরও তিনজন পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে মি. শওভিনকে সহযোগিতা করার ও অপরাধে মদত জোগানোর দায়ে। দোষ প্রমাণিত হলে চারজনেরই সর্বোচ্চ চল্লিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বিক্ষোভকারীরা আশা করছে মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ অফিসার কাউকে হত্যা করলে আইন তার ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য হবে তাতে একটা আমূল পরিবর্তন আসবে। কারণ তাদের আশা মি. ফ্লয়েডের ঘটনা খুবই ব্যতিক্রমী। কিন্তু আমেরিকার আইনে, পুলিশ অফিসারদের ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ আইনি সুরক্ষা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা 'খুবই বিরল' জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকা জুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে পুলিশের সহিংস আচরণের খতিয়ান পর্যবেক্ষণকারী একটি প্রকল্পের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমেরিকায় পুলিশের হাতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭,৬৬৬। এর মধ্যে মাত্র ৯৯টি ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে , যা মোট হত্যার ঘটনার মাত্র ১.৩%। এবং এর মধ্যে মাত্র ২৫টি ঘটনায় পুলিশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ওয়াশিংটনে কেটো ইন্সটিটিউটের ফৌজদারি বিচার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লার্ক নেইলি বিবিসিকে বলেছেন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কৌঁসুলিদের ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘটনা \"খুবই বিরল\"। মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি বলেছেন এর কারণ পুলিশ এবং কৌঁসুলি দুজনেই আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী সংস্থার অংশ- তারা পরস্পরের সহযোগিতায় কাজ করে । অপরাধের সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ এবং মামলার সময় আদালতে সেগুলো পেশ করার ব্যাপার কৌঁসুলিরা পুলিশের ওপরই নির্ভর করেন। তাদের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে এই ব্যবস্থায় \"ফৌজদারি মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে তাদের দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়।\" এছাড়াও শক্তি প্রয়োগের অধিকার আইনত পুলিশকে দেয়া আছে। যেমন আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষায়, অথবা অন্য কারো মৃত্যু ও গুরুতর আহত হওয়া ঠেকাতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: আমেরিকায় বিক্ষোভের মধ্যেও পুলিশি নির্মমতার আরও নজির আমেরিকায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার খতিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে কেন কিছু প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয় মামলা থেকে সুরক্ষা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অফিসারদের ক্ষেত্রে মামলা থেকে রক্ষাকবচ রয়েছে যদি না আইনের লংঘন বিষয়ে আগের সুনির্দিষ্ট কোন মামলার উদাহরণ থাকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার ক্ষেত্রে আইনি রক্ষাকবচ থাকায় পুলিশি বর্বরতার শিকার মানুষের জন্য একটাই পথ খোলা থাকে - সেটা হল দেওয়ানি আদালতে মামলা আনা। কিন্তু মি. নেইলি বলছেন, \"বাস্তবে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা আনার জন্য দেওয়ানি আদালতের দরজা বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে,'' কারণ তিনি বলছেন এক্ষেত্রে \"বিশেষ রক্ষাকবচের\" নীতি তুলে ধরার রেওয়াজ রয়েছে। তিনি বলছেন ক্ষতিগ্রস্তের \"সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত অধিকার\" বলে আইনের নথিতে যদি কিছু লিপিবদ্ধ না থাকে, তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন একরকম অসম্ভব। তার থেকেও বেশি কঠিন এধরনের মামলা দায়ের করা সম্ভব হলেও, তার থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়। ২০১৪ সালে, এমি করবেট নামে এক নারী এক ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক ব্যক্তি তার পেছনের বাগানে ঢুকে পড়ে। তার বাগানে সেসময় ছয়টি শিশু খেলা করছিল। সশস্ত্র পুলিশ বাগানে ঢুকে বাচ্চাদের মাটিতে শুয়ে পড়ার নির্দেশ দেয়। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, এসময় এমির পোষা কুকুর ব্রুস বাগানে বেরিয়ে এলে একজন পুলিশ অফিসার কোনরকম হুঁশিয়ারি ছাড়াই কুকুরকে লক্ষ্য করে দুবার গুলি চালায়, যদিও কুকুরটা তার জন্য কোনরকম হুমকির কারণ ছিল না। কুকুরের গায়ে গুলি না লাগলেও গুলি লাগে এমির দশ বছরের ছেলে ডাকোটার পায়ে। ডাকোটা মাটিতে শোয়া অবস্থায় ছিল। ছেলেটি প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু সে গুরুতর আহত হয় এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অ্যাকটিভিস্টরা অনেকদিন থেকেই পুলিশকে দেয়া এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা করে এমি ব্যর্থ হন। আদালত তার আবেদন নাকচ করে দেয় এই যুক্তিতে যে, \"গ্রেপ্তারের সময় শক্তি প্রয়োগ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত এই ঘটনা ঘটেছে এবং এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত অধিকারের লংঘন নয়\"। আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল মালাইকা ব্রুকসের প্রতি পুলিশি আচরণ। তাকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে তার ওপর তিনবার টেজার অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়, যাতে তার নড়াচড়ার শক্তি না থাকে। তাকে মুখ নিচে করে মাটিতে শুইয়ে ফেলা হয় এবং তার ১১ বছরের ছেলের সামনে তার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা হয়। মালাইকা তখন আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। যে রাস্তায় ঘন্টায় বিশ মাইল বেগে গাড়ি চালানোর নিয়ম, সেখানে মালাইকা বিশের জায়গায় ৩২ মাইলে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাকে থামিয়ে পুলিশ স্পিড করার জন্য জরিমানার কাগজ ধরিয়ে দেয়। নিজের দোষ স্বীকার করার ভয়ে মালাইকা ওই কাগজে সই করতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনিও পুলিশ অফিসারকে আদালতে নিতে ব্যর্থ হন। কারণ টেজার গান ব্যবহার করার ব্যাপারে \"সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত অধিকার\" কী তার কোন রূপরেখা না থাকায় আদালত মামলার আবেদন নাকচ করে দেয়। দশ বছর পর মালাইকাকে আদালতের বাইরে ৪৫,০০০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। \"আদালত পুলিশকে যে এভাবে কী পরিমাণ স্বাধীনতা দিচ্ছে তাদের ইচ্ছামত আচরণ করার, তা ভাবলে অবাক হতে হয়,\" বলছেন মি. নেইলি। \"আমি এটাকে বলব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রায় কোনভাবেই দায়বদ্ধ না করার একটা নীতি।\" জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার ন্যায় বিচার ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বিশ্ব ব্যাপী প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়া পুলিশ অফিসারের প্রতি তার আকুতি ও তার ছবি নিয়ে জার্মানিতে আঁকা হয়েছে দেয়াল ম্যুরাল। মি. নেইলি বলছেন পুলিশের জন্য যে সুনির্দিষ্ট রক্ষাকবচ রয়েছে তার কারণে মি. ফ্লয়েডের পরিবারের জন্য ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন হতে পারে। \"তারা দেখবে আদালতে এমন কোন মামলার নজির আছে কি না, যেখানে কারো মেরুদণ্ডের ওপর নয় মিনিট ধরে হাঁটু দিয়ে চেপে বসে থাকা, যতক্ষণ না সে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে এবং পরে মারা যাচ্ছে - এমন ঘটনা অসাংবিধানিক বলে বিবেচিত হয়েছে। এমন নজির যদি না থাকে, তাহলে সুনির্দিষ্ট রক্ষাকবচের সংজ্ঞা অনুযায়ী আপনি পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। কারণ এমন কোন ঘটনা আইনত নথিভুক্ত নেই।\" আমেরিকার জাতীয় পুলিশ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিবিসি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আগে এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাইকেল ম্যাকহেল বলেছিলেন, \"জর্জ ফ্লয়েডের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা মর্মান্তিক। পুলিশ অফিসারের আচরণের পেছনে কোন আইনগত, আত্মরক্ষামূলক, নৈতিক কোনরকম যুক্তি থাকতে পারে না।\" রাজনীতিকরাও একই সুরে কথা বলেছিলেন। \"দীর্ঘ দিন ধরে কালো ও বাদামি চামড়ার মানুষদের একটা শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে, তাদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে, তাদের গণনির্যাতন করা হয়েছে, দমবন্ধ করা হয়েছে, নিষ্ঠুর অত্যাচার করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে,\"২৯শে মে'র পুলিশি বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব রাখার আগে এই বক্তব্য দিয়ে টুইট করেছিলেন ম্যাসাচুসেটসের জনপ্রতিনিধি আয়ান্না প্রেসলি। \"এ ধরনের জীবন কেড়ে নেয়ার মত অবিচার আর চলতে দেয়া যায় না।\" তবে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পেছনে কাজ করেছে ব্যাপক গণদাবি। আমেরিকার সমাজে যে বৈষম্য শেকড়ের গভীরে সেখানে পরিবর্তন আনার দাবি এখন উঠছে জোরেসোরে। গণমাধ্যম এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন পুলিশের জন্য এই সুনির্দিষ্ট রক্ষাকবচের নীতির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের পর্যালোচনা করা উচিত। পুলিশ কোন্ পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী হতে পারে এমন মাত্রার বলপ্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কংগ্রেসে আইন পাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকর্মীরা। কোভিড-১৯ অবজ্ঞা করে আমেরিকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। আমেরিকার নাগরিক অধিকার বিষয়ক একটি সংস্থার পরিচালক উডি ওফার মনে করেন আমেরিকান প্রশাসনকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তিনি চান পুলিশের বাজেট কমিয়ে দেয়া হোক। তিনি বলছেন কোন কোন শহরে বাজেটের ৪০ শতাংশ খরচ করা হয় পুলিশ বাহিনীর পেছনে। আমেরিকায় হরহামেশা মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এফিবআইয়ের হিসাব অনুযায়ী আমেরিকায় প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন গ্রেপ্তার হন। ২০১৮ সালে গোটা আমেরিকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ছিল এক কোটি তিন লাখ। এর মধ্যে অনেক অপরাধ ছিল খুবই ছোটখাট। মি. ওফার বলেন, এমন অভিযোগও এখন শোনা যাচ্ছে যে, জর্জ ফ্লয়েড একটি জাল নোট আসলে দোকানে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করছিলেন। আমেরিকায় বর্তমানে যে বিক্ষোভ চলছে অনেকেই তার সঙ্গে ১৯৬০এর দশকের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের তুলনা টানছেন। তিনি বলছেন, \"পুলিশের সহিংস আচরণ ও পুলিশের মধ্যে বর্ণবাদ আমেরিকায় দীর্ঘদিনের একটা মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হয়েছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু এ লড়াইয়ে আমরা এখনও জিততে পারিনি।\" \"পুলিশ অফিসারদের ব্যক্তিগতভাবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলেই যে আমরা এই লড়াই জিততে পারব, তা নয়।\" মি. ফ্লয়েডের মৃত্যু প্রতিবাদের যে আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে, মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা এখন তাকে রাজপথ থেকে নিয়ে যেতে চাইছেন মূলধারায় পরিবর্তন আনার পথে।", "doc2": "Sakamakon wutar da aka huro ta hanyar zanga-zanga da tayar da zaune tsaye bayan kashe George Floyd, a halin yanzu an gurfanar da 'yan sandan da ake zargi da kisan. Ɗaya daga cikin 'yan sandan da ake zargi Derek Chauvin na fuskantar tuhume-tuhume da suka danganci kisa. Ya murƙushe Floyd har ƙasa idan ya danne masa wuya da gwiwarsa na kusan mintuna tara kafin Floyd ya mutu a garin Minneapolis a ranar 25 ga watan Mayu. Sauran 'yan sandan da ke wurin da lamarin ya faru su ma ana tuhumar su da laifin taimaka wa wajen aiwatar da kisa. Akwai yiwuwar duka 'yan sandan huɗu su yi zaman gidan yari na shekaru 40. Masu zanga-zangar na da yaƙinin cewa mutuwar Floyd za ta kawo sauyi matuƙa kan yadda ake shari'ar 'yan sanda da suke kashe mutane da sunan suna kan aiki. Amma a ƙarkashin dokar Amurka, 'yan sanda a Amurka na samun rangwame idan aka zo yi musu shari'a. Kama 'yan sanda da laifi 'na da wuya' Wani bincike da aka gudanar ya nuna cewa 'yan sanda sun kashe mutum 7,666 a Amurka tsakanin 2013 zuwa 2019. Cikin kashi 99 cikin 100, kashi ɗaya ne kawai daga cikin laifukan kisan da 'yan sandan suka yi aka yanke musu hukunci, binciken ya nuna cewa 'yan sanda 25 ne kaɗai aka same su da laifi. Clark Neily, wanda shi ne mataimakin shugaban cibiyar hukunta laifuka da ke birnin Washington DC ya shaida wa BBC cewa abu ne mai wuya ga masu tuhuma su kai ƙarar 'yan sanda kotu, kamar yadda hakan ta faru kan batun Floyd. Neily ya bayyana cewa masu tuhuma da kuma 'yan sanda dukansu jami'ai ne da ke tabbatar da doka - suna aiki tare da juna - masu tuhuma na dogara da 'yan sanda domin neman hujjoji da bayanai. Wannan na nufin wannan amfani da ƙarfi ga 'yan sanda na ɗaya daga cikin aikinsu kuma yana cikin doka - misali a ƙoƙarin kare kai daga jin rauni ko kuma kisa. Kare su daga fuskantar shari'a Iyalan waɗanda aka kashe ba su da wani zaɓi illa su kai 'yan sandan kotu, amma Neily ya bayyana cewa a kullum kotuna ba su cika sauraren irin waɗannan ƙararrakin ba sakamakon wata ƙa'ida da ake da ita ta \"rigar kariya\". Hakan na kare manyan ma'aikata daga fuskanatar shari'a ko da sun take haƙƙin wani, sai dai idan akwai wasu ƙwararan hujjoji. A 2014, wani lamari ya taɓa faruwa a gidan Amy Corbitt inda 'yan sanda suka faɗa cikin gidanta yayin da suke bin wani mai laifi. Ko da 'yan sandan suka shiga gidan, sai suka buƙaci yaranta shida waɗanda ke wasa da su kwanta a ƙasa. Kwatsam sai ga wani kare na Amy ya fito, sai ɗaya daga cikin 'yan sandan ya harbi karen duk da cewa karen bai nuna wata alamar barazana ba ga 'yan sandan kamar yadda takardun kotu suka nuna. Ko da ɗan sandan ya harbi karen, sai harsashin ya kauce inda ya samu yaron Amy mai shekaru 10, Dakota. Yaron bai mutu ba amma ya samu munanan raunuka a ƙafa. A ƙarshe kotu ta yi watsi da buƙatarta bayan ta kai ƙara inda ta ke neman a kama 'yan sandan da laifi. Adalci ga Floyd Neily ya bayyana cewa rigar kariya da 'yan sanda ke da ita a Amurka zai iya sa wa da wahala iyalen Floyd su samu abin da suke so ta bangaren adalci. \"Idan baza su iya samo wani lamari makamancin wannan ba da kotu ta yanke hukuncin cewa bai cikin tsarin mulki a murƙushe wuyan mutum na minti tara, to wannan batun na rigar kariya na nufin ba za a iya gurfanar da 'yan sandan ba, sakamakon babu makamancin haka a rubuce.\" BBC ta yi ƙoƙarin jin ta bakin Ƙungiyar 'yan sanda ta Amurka amma ta ƙi amincewa ta tofa albarkacin bakinta. Shugaban ƙungiyar Michael McHale a baya ya yi magana kan batun kisan Floyd, inda ya ce: \"Abin da ya faru da George Floyd abu ne mai muni. Babu wata hujja a doka, ko kuma dokar kare kai da za ta sa ɗan sandan ya aikata abin da ya yi.\" Irin wannan abin da Michael ya faɗa, 'yan siyasa da dama a ƙasar suna faɗin irin haka. Wutar da mutane suka huro ta taka muhimmiyar rawa wajen yadda aka bai wa kisan Floyd muhimmanci, amma akwai buƙatu na ƙara yin wasu sauye-sauye. Masana da kuma wasu rahotanni daga kafofin yaɗa labarai sun bayar da shawarwari kan cewa Kotun Kolin ƙasar ta sake bitar batun rigar kariya da ake ganin cewa 'yan sanda a ƙasar suna da ita. Masu fafutuka a ƙasar kuma sun yi kira da a kafa wata doka da za ta hana jami'an tsaro amfani da mugun ƙarfi har sai abin ya zama tilas, kuma za su iya amfani da ƙarfin ne kawai idan babu duk wata hanya sai ta amfani da ƙarfin. Wasu daga cikin 'yan majalisa a ƙasar sun goyi bayan kafa wata doka da za ta hana kai makaman sojoji zuwa ga 'yan sanda. Akwai sauran ƙudurori masu kama da wannan da ke kan hanya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56713765", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56713250", "doc1": "নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্র দেশটির আণবিক প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা আলি আকবর সালেহী অবশ্য এই 'সন্ত্রাসী হামলার' জন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে দায়ী করেননি। তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ওই ঘটনায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে যে, এটা ইসরায়েলি সাইবার হামলার ফলাফল ছিল। তবে ওই ঘটনার ব্যাপারে সরাসরি কোন মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে ইসরায়েলের সতর্কবার্তার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। ইরানের এই ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন ২০১৫ সালের একটি পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজে সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়, যার মাধ্যমে রিঅ্যাক্টর ফুয়েলের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করা সম্ভব। তবে এই কর্মকাণ্ডকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির একটি লঙ্ঘন বলে দেখা হচ্ছে। কারণ ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধুমাত্র বিদ্যুৎ তৈরির জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন ও মজুদ করতে পারে। আরও পড়ুন: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত রবিবার ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপত্র রেহরোজ কামালভান্দি বলেছেন, রবিবার সকালে পারমাণবিক কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কে একটা ঘটনা ঘটেছে। তিনি যদিও বিস্তারিত জানাননি, তবে ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এতে কোন হতাহত বা লিকেজের ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংস্থাটির প্রধান আলি আকবর সালেহীর একটি বিবৃতি পাঠ করা হয়, যেখানে তিনি ওই ঘটনাকে 'নাশকতামূলক হামলা' এবং 'পারমাণবিক সন্ত্রাস' বলে বর্ণনা করেছেন। ''এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে আহবান জানাচ্ছে যেন তারা পারমাণবিক সন্ত্রাসের বিষয়টিকে মোকাবেলা করে।'' বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ''সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার রয়েছে ইরানের,'' তিনি বলেন। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার কথা শুনেছে তবে কোন মন্তব্য করেছি। গত বছরের জুলাই মাসে নাতানজ কেন্দ্রের সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা বলে দাবি করেছিল ইরান। কেন গুরুত্বপূর্ণ নাতানজ? তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে দেখা গেছে ইরান সম্মত হয়েছিলো যে কম মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে যা পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল উৎপাদন করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গত বছর ইরান এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এরপর ইরান নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'কঠোর লকডাউনে' আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন থাকবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের 'যৌনসঙ্গী' যোগানোর ব্যবসার খবর ফাঁস হয়েছিল যেভাবে জর্দান সঙ্কটের পেছনে কি সৌদি আরবের ভূমিকা আছে? কাশীতে মসজিদের ভেতর মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজতে সার্ভের বিতর্কিত নির্দেশ", "doc2": "Iran Bai fadi ko waye ke da laifi ba amma ya yi kira ga kasashen duniya da su magance ta'addancin nukliya. Kafofin watsa labarai na Israila sun nuna cewa al'amarin ya faru ne sakamakon harin ta intanet da Israilar ta kai. Al'amarin baya-bayan nan na zuwa ne yayin da ake kokarin farfado da yarjejeniyar nukiliya ta shekarar 2015 ta hanyar amfani da kafar diflomasiyya wadda Amurka ta fice daga ciki karkashin mulkin Trump a shekarar 2018. A ranar Asabar shugaba Hassan Rouhani na Iran ya kaddamar da sabbin injinan zamani a Natanz, wanda wuri ne mai muhimanci a shirin inganta uranium na kasar, wanda aka nuna kai tsaye a talbijin. Hakan ya wakilci wani abin da ya sabawa alkawuran kasar a yarjejeniyar 2015, wacce kawai ke ba Iran damar samarwa da adana iyakantaccen uranium din da za a yi amfani da shi don samar da mai na makamashin nukiliyar kasuwanci."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55284559", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55284309", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন এই সপ্তাহে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য এই মামলাটি করে। সেখানে বলা হয় জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের নির্বাচনের ফলাফল বৈধ না। এই চারটি স্টেটে জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। এই মামলাটিতে ১৯ টা স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং কংগ্রেসের ১২৭ জন রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করার কারণ হিসেবে বলেছে টেক্সাসের কোন আইনি সক্ষমতা নেই মামলাটি করার। আদালত বলেছেন \"যখন অন্য একটি স্টেট তাদের নির্বাচন করে তখন টেক্সাসের সেই নির্বাচনে কোন বিচারিক আগ্রহ থাকতে পারে না\"। এই আদেশ মি.ট্রাম্পের জন্য আরো একটা ধাক্কা। কারণ এর আগে তিনি কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বলেছিলেন নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এর আগে পেনসিলভানিয়াতে জো বাইডেনের জয়ের বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলা খারিজ করে আদালত। নির্বাচনের পর থেকেই মি. ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েক ডজন মামলা করেছে। কিন্তু কোনটায় জো বাইডেনের জয়কে উল্টে দেয়ার কাছাকাছি আসতে পারেনি। মার্কিন ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোটে ডেমোক্রাটিক প্রার্থী জো বাইডেন মি. ট্রাম্পকে ৩০৬-২৩২ হারিয়ে দেন। মি. বাইডেন দেশব্যাপী মি. ট্রাম্পের চেয়ে ৭০ লক্ষ ভোট বেশি পান। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মরক্কো-ইসরায়েল চুক্তি: উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত-দলাদলির রেসিপি করোনা ভাইরাস : আগামী ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হবে অনলাইনে মুজিব ভাস্কর্য: ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে সরকার রাজি বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রেলপথ চালু হতে যাচ্ছে", "doc2": "An dai shigar da ƙarar ne a jihar Texas, kuma jihohin da wadanda suka shigar da ƙarar suka nemi a soke sakamakon zabukan su ne Georgia da Michigan da Pennsylvania da kuma Wisconsin. Zaɓaɓɓen shugaban ƙasa Joe Biden ne ya lashe zaɓukan da aka yi a duka jihohin huɗu. Ƴan majalisar Amurka daga jam'iyya mai mulki ta Republican su 127 tare da lauyoyin gwamnatocin jihohi 19 sun goyi bayan wannan ƙarar. Amma Kotun Ƙolin ta yanke hukunci tana cewa jihar ta Texas ba ta da hurumi a shari'ance na shigar da irin wannan ƙarar, kuma ta yi watsi da ƙarar nan take. \"Jihar Texas ta kasa nuna wa a shari'ance yadda wannan zaben ya shafe ta ganin cewa kowace jiha tana da ikon gudanar da zaɓuka a ƙarƙashin dokokinta,\" inji Kotun Ƙolin. Wannan hukuncin ya kasance wani gagarumin koma-baya ga Mista Trump, wanda a baya ya kafe cewa sakamakon zaben shugaban Amurka na watan Nuwamba an tafka magudi a cikinsa. Mista Trump ya sha yin iƙirari cewa \"ƙuri'un bogi\" ne su ka kayar da shi a ƙoƙarin da yake yi na tabbatar da samun wa'adi na biyu na mulkinsa. Tun bayan da aka gudanar da zaben, Mista Trump da magoya bayansa sun shigar da gomman ƙararraki wadanda a ciki su ke ƙalubalantar sakamakon zaɓen. Babu ko guda ɗaya da ta goyi bayan masu shigar da ƙarar. Dan takarar da jam'iyyar adawa ta Democrat ta tsayar, Mista Joe Biden ya sami ƙuri'u 306, inda shi kuma Mista Trump ya sami ƙuri'u 232 na kwamitin masu zaɓe da ake kira Electoral College. Wadannan mambobin kwamitin masu zaben ne ke zaben shugaban ƙasa. Ban da wannan tazarar, Mista Biden ya lashe zaben da ƙuri'u fiye da miliyan bakwai idan aka kwatanta da wadanda Mista Trump ya samu na adadin masu zabe da suka fita ƙwansu da ƙwarƙwatarsu domin zaben shugaban da zai jagoranci Amurka na shekara hudu mai zuwa. Ranar Litinin mai zuwa ne kwamitin masu zaɓen za su taru a birnin Washington domin tabbatar wa Joe Biden cewa shi ne ya lashe zaɓen shugaban ƙasa na 3 ga watan Nuwamba, 2020."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46247066", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46241132", "doc1": "যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সিআইএ'র ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারা এই এর প্রমাণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, এরকম একটি হত্যাকান্ড ঘটানোর অভিযান কেবলমাত্র যুবরাজের অনুমতি নিয়েই হতে পারে। তবে সৌদি আরব এরকম দাবিকে মিথ্যা বলে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, যুবরাজ এই হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শনিবার বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকারীদের বিচার হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও (বাঁয়ে) এবং সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল আল জুবেইর (মাঝখানে) এর সঙ্গে যুবরাজের ভাই খালেদ বিন সালমান (ডানে)। পাপুয়া নিউ গিনিতে এক সম্মেলনে অংশ নেয়ার সময় তিনি বলেন, \"এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের সবাইকে এর দায় নিতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।\" অক্টোবরের ২ তারিখে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগজিকে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুরস্ক বলছে, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ যে সরাসরি সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে এসেছে, সেটি সিআইএ ধারণা করছে অংশত একটি ফোন কলের ভিত্তিতে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স খালেদ বিন সালমান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত, তিনি নাকি জামাল খাসোগজিকে ফোন করেছিলেন। জামাল খাসোগজির মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুবরাজের নির্দেশেই নাকি তিনি খাসোগজিকে ফোন করে আশ্বাস দেন যে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তিনি যেতে পারেন, তার কোন বিপদ হবে না। তবে রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান দাবি করছেন, জামাল খাসোগজির সঙ্গে এক বছর ধরে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। জামাল খাসোগজির হত্যাকান্ড সম্পর্কে সিআইএ'র এই সর্বশেষ মূল্যায়ন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোন মন্তব্য করেনি।", "doc2": "Wasu majiyoyi da kafofin yada labaran kasar suka ambato sun ce tuni hukumar ta sanar da bangarorin gwamnatin Amurka da suka hada Majalisa kan binciken da ta gudanar wanda ya ci karo da ikirarin gwamnatin Saudiya cewa ba hannun Yariman a kisan dan jaridar. Iyalai da 'yan uwa da abokn arziki sun fara zaman makokin marigayi Jamal Khashoggi a gidansa da ke birnin Jedda. Babban dan marigayin Salah Jamal Khashoggi ya koma kasar daga Amirka dan zaman makokin da za'a kwashe kwanaki 4 na yi. A ranar Juma'a 16 ga watan Nuwamba ne daruruwan mutane suka taru don halartar jana'izar dan jaridar nan Jamal Khashoggi a masallacin Ka'aba da na Madina a kasar Saudi Arabia, da wasu biranen na duniya da suka hada da birnin Santambul da Lonodn da Paris da Washington. An kashe shi ne a ofishin jakadancin Saudiyya da ke Turkiyyan ba tare da an gano gawarsa ba, kuma har yanzu ba a gano gawarsa ba. Shugaba Reccep Erdogan yana zargin gwamnatin Saudiyya da kisan, sai dai kasar ta musanta, amma hukumomin na Saudiya sun ce za su hukunta jam'ian tsaron kasar da suka kashe Jamal. Daga bisani Turkiyyan ta ce an narkar da gawar ffitaccen dan jaridar. Daya daga 'ya'yan mamacin Salah Khasoggi ya ce iyalensa sun fara karbar gaisuwar mahaifinsu, a gidan Jamal Khasoggi dake birnin Jidda ranar Juma'a. Khashoggi, fitaccen mai sukar gidan sarautar Saudiyya ne, wanda aka kashe a karamin ofishin jakadancin kasar da ke birnin Istanbul ranar biyu ga watan Oktoba. Saudiyya ta amince cewa a ofishin nata aka kashe shi, ko da yake ta ce babu hannun 'yan gidan sarautar kasar. Tun da fari mahukuntan kasar sun ce dan jaridar ya fita daga ofishin jakadancinsu bayan ya kammala abin da ya kai shi. Kazalika masarautar Saudiyya ta musanta wasu kalamai da aka zargi Yarima mai jiran gadon sarautar kasar Mohammed bin Salman ya yi inda ya bayyana Khashoggi a matsayin musulmin da ke da matukar hatsari. An ce ya yi kalaman ne a wata hira ta wayar tarho da ya yi da wani jami'in fadar White House gabanin Saudiyya ta amince cea an kashe Khashoggi. Har yanzu dai babu wata matsaya daya da ke nuna takamaimai yadda Mr Khashoggi ya mutu. Ya je ofishin jakadancin ne domin karbar wasu takardu game da auren da zai yi. Sai dai a ranar 10 ga watan Nuwamba Kasar Turkiyya ta bai wa Amurka da Burtaniya da Saudiyya da wasu kasashe bidiyon kisan dan jaridar nan mai sharhi Jamal Khashoggi. Shugaban Turkiyya Recep Tayyip Erdogan ya nanata ikirarin da ya yi cewa Saudiyya ta san wanda ya kashe Khashoggi. Jamal Khashoggi ya fara aikin jarida tun yana da kuruciya a matsayin mai aika rahotanni, a lokacin da ya kulla abota da Osama bin Laden na zamowar sa mai adawa da Saudiyya, abun da ya sanya shi barin kasar. Kafin bacewarsa a ofishin jakadancin Saudiyya da ke Istanbul, gudun hijirar da Khashoggi ya yi na nufin ya na raba lokacinsa tsakanin Amurka, da Burtaniya da Turkiyya. Ya bar Saudiyya a watan Satumbar 2017, bayan da su ka samu tangarda da jami'an masarauta. Daga kasashen waje, ya ci gaba da yada ra'ayoyinsa masu sukar gwamnatin Saudiyyar, a wata makala da ya rubuta a jaridar Washington Post ta Amurka, da kuma a shafinsa na Twitter inda ya ke da mabiya miliyan daya dubu dari shidda. Jamal Khashoggi, mai shekaru 59 ya fara aikin jarida ne a Saudiyya bayan da ya samu digirinsa a Amurka a shekarar 1985. Lokacin da ya ke aiki da jaridar al-Madina a shekarun 1990, ya yi rubutu sosai a kan masu ikirarin jihadi a Afghanistan da suka shiga kasar don yakin Sobiyet. Ya yi hirarraki da dama musamman ma da wani dan Saudiyya, Osama bin Laden, wanda ya ruwaito cewar ya san shi tun yana matashi a Saudiyya. A lokacin, Bin Laden bai yi kaurin suna a kasashen yamma a matsayin shugaban al-Qaeda ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44591828", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-44588730", "doc1": "ড্রাইভিং প্রশিক্ষক আহলাম আল-সোমালির সাথে ছাত্রী মারিয়া আল-ফারাজ দশকের পর দশক ধরে সেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ঘোষণা আসে প্রথমবারের মত গত বছরের সেপ্টেম্বরে। আর এই মাসের শুরুর দিকে মেয়েদের প্রথম লাইসেন্স দেয়া হয়। সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। গাড়ি চালানোর জন্য গাড়ির মালিকদের ব্যক্তিগত চালক রাখতে হত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা একদিনে বাতিল হয়নি। দেশটিতে অ্যাকটিভিস্টদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে,তাদেরকে আবার ধর-পাকড় করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে অন্তত আটজন নারী অ্যাকটিভিস্টকে আটক করা হয়েছে যারা কাউন্টার টেররিজম কোর্টে বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদী জেল খাটার সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে অ্যামনেস্টি মনে করছে, দেশটিতে মেয়েদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আরো সংস্কার কাজ করা উচিত। আরো পড়ুন:সৌদিতে যেভাবে গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েরা বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না ১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর জন্য কয়েক ডজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৮ থেকে ২০১১ এবং ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অনেক নারীকেই দেখা গেছে তারা গাড়ি চালাচ্ছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এদিকে আনুষ্ঠানিক এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শীগগিরই হাজার হাজার নারীকে রাস্তায় দেখা যাবে গাড়ি চালাতে। সৌদি আরবের টেলিভিশনের একজন প্রেজেন্টার সাবিকা আল দোসারি এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন \"প্রত্যেকটা সৌদি নারীর জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক সময়\"। তিনি বলেছেন যখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তখন স্থানীয় সময় রাত নয়টায় তিনি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেন। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন শেষ মূহুর্তের অবিশ্বাস্য গোলে জয় জার্মানির কাশ্মীরের হিন্দু মুসলমানদের এক করছে যে শিল্প প্রদর্শনী", "doc2": "A can baya sai dai a yi hayar direba ya dauki mata A watan Satumba ne gwamnatin Saudiyya ta sanar da dage haramcin tuki ga mata, kuma tuni aka fara ba matan lasisin tuki a Saudiyya. Kafin dage haramcin Saudiyya ta kasance kasa ta karshe a duniya da mata ba su da izinin tuki. Sai dai duk da wannan ci gaban ga matan Saudiyya, ana zargin hukumomin kasar da bin matakai na murkushe wadanda suka yi gwagwarmayar tabbatar da ba mata 'yancin tuki a kasar. Kungiyar Amnesty International da ke rajin kare hakkin dan adam ta ce akalla mata 'yan gwagwarmaya takwas aka kama, kuma za su iya fuskantar shari'a a kotun yaki da ta'addanci tare da fuskantar hukunci mai tsauri. Amnesty ta bukaci Saudiyya ta kara tabbatar da wasu sabbin sauye-sauye musamman ga lamurran da suka shafi 'yancin mata. Kungiyoyin kare hakkin dan adam sun dade suna gwagwarmaya domin ganin Saudiyya ta ba mata 'yancin tuki a kasar. An kame mata da dama saboda tuki a Riyadh a 1990, yayin da wasu mata suka dinga wallafa bidiyonsu a kan sitiyarin mota a 2008 da kuma tsakanin 2011 da 2014. Sai dai kuma wasu mazan Saudiyya da dama sun bayyana rashin jin dadi da sabon sauyin da aka samu, inda suke amfani da maudu'i a intanet da ke cewa \"Ba za ku yi tuki ba\" Dage haramcin tukin ga mata na daga cikin sabbin manufofin Yarima mai jiran gado Mohammed bin Salman na kokarin bunkasa wasu fannonin rayuwa a Saudiyya. Matakin na daga cikin shirinsa na shekara ta 2030 da nufin karkatar da tattalin arzikin Saudiyya daga dogaro da arzikin man fetir zuwa nishadi da yawon bude ido."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50965708", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50965318", "doc1": "দরোজা ভেঙে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের ঢোকার প্রচেষ্টা। তারা দূতাবাসের চারপাশে তাঁবু খাটিয়েছেন এবং বলছেন, ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অবরোধ উঠিয়ে নেবেন না। মঙ্গলবার এসব বিক্ষোভকারী মিছিল করে বাগদাদের 'গ্রিন জোন'-এ মার্কিন দূতাবাসের দিকে যায় এবং দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। তারা দূতাবাসের একটি অংশে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। ক'দিন আগে একটি আধাসামরিক বাহিনীর ক'জন সদস্য মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হওয়ার জের ধরে হাজার হাজার মানুষ বাগদাদের পথে নামেন। আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজন সিনিয়র মিলিশিয়া ও প্যারামিলিটারি নেতা শোভাযাত্রাকারীদের সাথে পায়ে হেঁটে গ্রিন জোনের দিকে যান। ঐ এলাকায়ই ইরাকের অধিকাংশ সরকারি অফিস ও বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের ওই জোনে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে রাস্তায় সমবেত হওয়ার সুযোগ দেয়। ইরান-সমর্থিত কাতাইব হেজবোল্লাহর ওপর মার্কিন হামলা চলে গত রোববার। এতে অন্তত ২৫ ব্যক্তি নিহত হন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন লক্ষ্যবস্তুর ওপর রকেট হামলার পাল্টা জবাব দিতেই তারা ঐ বিমান হামলা চালিয়েছেন। এই প্ল্যাকার্ডে বলা হয়েছে: \"আমেরিকান দূতাবাস বন্ধ করো, নয়তো জনগণ করবে।\" ওদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামিনি শিয়া আধাসামরিক বাহিনী কাতাইব হেজবোল্লাহর ওপর মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাসে হামলার পেছনে ইরান রয়েছে, একথা বলার পর মি. খামিনি তার নিন্দা করেন। মি. ট্রাম্প টুইটারে এক পোস্টে লেখেন, যে কোন প্রাণহানি ও দূতাবাসের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ইরানকে \"চরম মূল্য দিতে হবে।\" \"এটা কোন সতর্কবাণী না, এটা একটা হুমকি,\" তিনি মন্তব্য করেন। ওদিকে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের ওপর ঢিল ছোঁড়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট: মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে যে অবনতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সেখানে অতিরিক্ত সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানিয়েছেন, আরও ৭৫০ জন মার্কিন সৈন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে ইরাকের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫,০০০ সৈন্য মোতায়েন আছে। ইরানের নেতা আয়াতোল্ল।হ খামিনির জবাব: বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: বাংলাদেশীদের ভারতমুখী হবার পাঁচটি কারণ ফেসবুক, ইউটিউবে বছরজুড়ে ভাইরাল যা কিছু কেন এত আতঙ্কিত উত্তর প্রদেশের মুসলিমরা", "doc2": "Masu zanga-zangar sun bayyana cewa ba za su daina zanga-zangar ba, kuma ba za su bar gaban ofishin jakadancin ba har sai sojojin Amurka sun fice daga Iraki. A ranar Talata ne wasu masu zanga-zanga suka cinna wuta a wasu sassan ofishin jakadancin Amurkar da ke Bagdaza biyo bayan wani hari ta sama da Amurka ta kai wa kungiyar mayakan sa-kai da Iran ke goya wa baya a Iraki. Kimanin mayaka 25 ne suka mutu lokacin da Amurkan ta kai hare-haren a sansanin mayakan masu alaka da kungiyar Kataib Hezbollah a Iraki da Syria ranar Lahadi. Harin saman da Amurkar ta kai na zuwa ne jim kadan bayan wasu hare-haren roka da aka kai wa sojojin Amurka wanda harin ya yi sanadiyar mutuwar wani farar hula Ba'Amurke. Jagoran addini a Iran Ayatollah Ali Khamenei ya caccaki Shugaba Trump bayan Trump din ya zargi Iran da kai hare-haren. Jami'ai a Amurka sun bayyana cewa akwai dakarun kasar da dama da za a kara turawa zuwa yankin na Iraki sakamakon tayar da zaune tsaye da ake samu. Ko a wasu jerin sakonnin Twitter da Trump din ya wallafa na murnar sabuwar shekara ya bayyana cewa Iran din za ta dandana kudarta sakamakon harin da ta kai. Ya bayyana cewa sai ta ''gane kurenta'' dangane da hare-haren, inda ya ce ''wannan ba kashedi ba ne, barazana ce. Barka da Sabuwar Shekara.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44822801", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-44830400", "doc1": "গত এক বছরে এতো বড়ো হামলা হয়নি। বালুচিস্তান প্রদেশে কোয়েটার কাছে মাসতুং শহরে চালানো এই হামলায় প্রাদেশিক নির্বাচনের একজন প্রার্থীও প্রাণ হারিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ। শুক্রবার দিনের আরো আগের দিকে উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে আরেকটি নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় চারজন নিহত হয়। আাগামী ২৫শে জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে আরো সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। গত মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় পেশাওয়ার শহরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়। পাকিস্তানি তালেবান সবশেষ এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছে। মাসতুং-এ শুক্রবারের হামলায় যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, পাকিস্তানে গত এক বছরেরও বেশি সময়েও, একক কোন হামলায় এতো ব্যাপক সংখ্যক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বালুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের একজন প্রার্থী সিরাজ রাইসানি। তিনি বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টির একজন প্রার্থী ছিলেন। ইসলামাবাদ থেকে বিবিসির সাংবাদিক এম ইলিয়াস খান বলছেন, সবশেষ এই হামলার ঘটনাটি পাকিস্তানে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, সোনাবাহিনী একদিকে যেমন দাবি করছে যে তারা জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি এরকম একটি হামলার ব্যাপারে কাছ থেকে কোন হুমকিও ছিল না। এর আগে, ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা আগাম হুমকি দিয়েছিল। ফলে তখন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল খুব কমই প্রচারণা চালিয়েছিল। তিনি বলছেন, ওই দলগুলোই আবার আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। আর আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসব দল যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে না পারে। মি. খান বলছেন, সবশেষ এই হামলার পর নির্বাচনের আগে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। নওয়াজ শরীফ আটক এসব হামলার ঘটনাই ঘটেছে দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাজা হওয়ার পর। শুক্রবারের সব শেষ হামলাও হয়েছে লন্ডন থেকে মি. শরীফের লাহোরে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। আরো পড়তে পারেন: ক্রোয়েশিয়া: যে পাঁচটি তথ্য হয়তো জানা নেই লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন কানটে ফ্রান্সের নেপথ্য নায়ক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দেশে ফেরা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে আরেক উত্তেজনা। তাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে বিক্ষোভ করলে তার বহু সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শহরে নামার পর গ্রেফতার করা হয়েছে নওয়াজ শরীফকেও। তার আগে আবুধাবীতে মি. শরীফ বিবিসিকে বলেন, আগামী নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ সরকার বিরোধীদের উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তার সাথে ছিলেন কন্যা মরিয়মও। তাকেও পুলিশ আটক করেছে। তিনিও কারাদণ্ডে দণ্ডিত। আদালত যখন তাদেরকে সাজা দেয়, তারা দুজনেই তখন লন্ডনে ছিলেন। লন্ডনে মি. শরীফের স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।", "doc2": "Wannan ne hari mafi muni da aka kai a Pakistan tun shekarar 2014 Wannan ne hari mafi muni da aka kai a Pakistan tun shekarar 2014. A cikin wadanda suka mutu akwai wani dan takara daga garin Mastung, kamar yadda jami'an 'yan sanda suka sanar. Kungiyar IS ce ta dauki alhakin kai harin. Tun da farko, wani harin na daban da aka kai a garin Bannu ya janyo mutuwar mutum hudu. Hare-haren sun auku ne gabanin zaben kasa da za a yi ranar 25 ga watan Yuli. A wannan ranar ce aka kama tsohon firai minista Nawaz Sharif bayan da ya koma gida daga Ingila. Hukumar NAB ce ta damke shi tare da 'yar sa Maryam bayan sun sauka a birnin Lahore da ke arewacin kasar. Daga baya an wuce da su wani gidan kurkuku a babban birnin kasar Islamabad. An kama Nawaz Sharif bayan komawarsa gida daga Birtaniya"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55527616", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55525912", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প: \"আমি কেবল ১১,৭৮০টি ভোট পেতে চাই\" ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ওই রেকর্ডিংয়ে মি. ট্রাম্প রিপাবলিকান ব্র্যাড রাফেনস্পারগারকে বলেন, \"আমি কেবল ১১,৭৮০টি ভোট পেতে চাই। তবে মি. রাফেনস্পারগার উত্তরে বলেছেন যে জর্জিয়ার ফলাফল সঠিক ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জর্জিয়াসহ অন্যান্য দোদুল্যমান রাজ্যে জয়লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে মি. বাইডেন ৩০৬টি এবং মি. ট্রাম্প ২৩২টি ভোট পান। তেসরা নভেম্বর ভোটের পরে, মি. ট্রাম্প কোন প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কয়েকটি রাজ্যের ভোট পুনর্গননা এবং আইনি আপিল শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫০টি রাজ্য নির্বাচনের ফলাফলের অনুমোদন দেয়। এখন পর্যন্ত মার্কিন আদালত মি. বাইডেনের জয়ের বিরুদ্ধে ৬টি চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬ই জানুয়ারি কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনের ফলাফলকে অনুমোদন দেবে বলে কথা রয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতা মি. বাইডেন ২০শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করবেন। জর্জিয়ায় আরও দুই জন সেনেটরকে নির্বাচিত করতে মঙ্গলবার ওই রাজ্যের ভোটারদের আবার ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ফলাফল সেনেটে ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ করতে পারে। যদি দুই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিজয়ী হন, তবে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক সেনেটরের সংখ্যা সমান সমান হবে। এমন অবস্থায় নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভোট দেয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানাবেন। মি. বাইডেনের ডেমোক্র্যাট পার্টি ইতিমধ্যে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ব্র্যাড রাফেনস্পারগার এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন যে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে বিতর্কিত দাবিগুলো \"আমাদের রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে\" ট্রাম্পের ফোন কলে কী কথা হয়েছিল? ওয়াশিংটন পোস্ট যে উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছিল, সেখানে জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেটকে মি. ট্রাম্প নানা কথায় ভুলিয়ে পর্যায়ক্রমে চাপ দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তিনি জর্জিয়ার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং মি. রাফেনস্পারগারকে ট্রাম্প বলেন \"পুনরায় ভোট গণনা করা হয়েছে এই কথাটি বলার মধ্যে তো কোন ভুল নেই।\" মিঃ রাফেনস্পারগার তার প্রতিক্রিয়ায় মি. ট্রাম্পকে বলেন: \"মি. প্রেসিডেন্ট আপনার কাছে থাকা তথ্যটি ভুল।\" পরে ওই ফোনালাপে মি. ট্রাম্প বলেন যে, এমন গুজব রয়েছে যে রাজ্যের ফুলটন কাউন্টি থেকে ভোটের সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ব্যালট ভেঙে ফেলা হয়েছে - মি. রাফেনস্পারগারের আইনজীবী বলেছেন যে এমন কিছুই হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন সম্ভাব্য আইনি পরিণতির জন্য ওই কর্মকর্তাকে হুমকি দেন। মি. ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, \"আপনি জানেন যে তারা কী করেছে এবং আপনি এই বিষয়টি উত্থাপন করছেন না। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। আপনি এমনটা হতে দিতে পারেন না। এটি আপনার এবং আপনার আইনজীবী রায়ানের জন্য অনেক ঝুঁকির হবে\"। তারপরে তিনি অতিরিক্ত ১১,৭৮০ ভোট খুঁজে দেয়ার আহ্বান জানান - এর ফলে ওই রাজ্যটিতে ট্রাম্পের মোট ভোটের সংখ্যা হবে ২৪,৭৩,৬৩৪টি । যা বাইডেনের প্রাপ্ত ভোটের চাইতে একটি ভোট বেশি। জর্জিয়া রাজ্যে বাইডেন মোট ২৪,৭৩,৬৩৩টি ভোট পেয়েছিলেন। বাইডেনের বিজয়কে উল্টে দিতে ট্রাম্প সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প মি. রাফেনস্পারগারকে বলেন যে এই রাজ্যের ফলাফল পুনরায় যাচাই করা উচিৎ। \"আপনি এটি পুনরায় যাচাই করতে পারেন, তবে রাজ্যটিতে এই ফল যাচাইয়ের কাজ এমন লোকদের নিয়ে করাতে হবে যারা উত্তর খুঁজে পেতে চান। এমন লোকদের নেয়া যাবে না, যারা উত্তর খুঁজতে চান না\" তিনি বলেন। জবাবে মি. রাফেনস্পারগার বলেন, \"মি. প্রেসিডেন্ট, আপনার কাছে তথ্য জমা দেওয়ার মতো লোক রয়েছে এবং আমাদেরও এমন লোক আছে যারা তথ্য জমা দেয়। এবং তারপরে এটি আদালতের সামনে আসে এবং আদালত একটি সিদ্ধান্ত নেয়\" । তিনি আরও বলেন \"আমাদেরকে আমাদের এই সংখ্যার পক্ষে দাঁড়াতে হবে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের সংখ্যা সঠিক\" রোববার মি. ট্রাম্প টুইটে অভিযোগ করেন যে মি. রাফেনস্পারগার ভোট জালিয়াতির বিবরণ দেয়নি। তার কোনও সূত্রই নেই!\" প্রেসিডেন্ট টুইটে বলেন। মি. রাফেনস্পারগার পাল্টা টুইট করে বলেন: \" শ্রদ্ধার সাথে বলছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনি যা বলছেন তা সত্য নয়। সত্য প্রকাশিত হবে।\" হোয়াইট হাউস অডিও ফাঁসের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যাডাম শিফ বলেছেন: \"এই টেপ ফাঁসের মাধ্যমে ট্রাম্পের গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা আরও একবার সামনে এসেছে।\" মধ্যপন্থী রিপাবলিকান অ্যাডাম কিনজিংগার টুইট করে বলেন: \"নির্বাচনী ফলের বিরুদ্ধে এমন কথাবার্তা কংগ্রেসের প্রতিটি সদস্যের জন্য অনেক সাংঘাতিক বিষয়। আপনি সেটা করতে পারেন না যদি করতেই হয় তাহলে পরিষ্কার নীতিবোধ থেকে করতে হবে।\" ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা শেষ সপ্তাহগুলোয়, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের অনেক ভক্তই এখনো তার নির্বাচনী পরাজয়ের কথা বিশ্বাস করেন না তিনি সবশেষ জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেটকে নানা কথায় ভুলিয়ে, কাকুতি মিনতি করে এমনকি হুমকি দিয়ে জর্জিয়ায় জয় পেতে প্রয়োজনীয় ভোটগুলো খুঁজে দেয়ার কথা বলেছেন। তবে জর্জিয়ায় ভোট জালিয়াতির কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জর্জিয়া পর পর তিন বার এসব ভোট গণনা করেছে। কিন্তু বড় কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র তার নির্বাচনের ফলাফলকে অনুমোদন দিয়েছে এবং জর্জিয়া উল্টে গেলেও ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করার পক্ষে সেটা যথেষ্ট হবে না। ট্রাম্পের এই ফোনালাপে একটি বিষয় স্পষ্ট যে তিনি কেবল প্রেসিডেন্ট-পরবর্তী ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কৌশল চালাচ্ছেন বা চেষ্টা করছেন তার তহবিলের সংগ্রহ বাড়াতে। তবে ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, তিনি জয়ী হয়েছেন এবং এজন্য তিনি যেকোনো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে রাজী। নির্বাচনের ফল তার পক্ষে আনার জন্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদেরকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি, বৈধতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলছেন। ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপটি আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, \"আমি চাই আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন,\", যেখানে তিনি রাজনৈতিক সহায়তার জন্য বিদেশী নেতাকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে চাপ দিয়েছিলেন। সেই যোগাযোগের কারণে ট্রাম্প অভিশংসনের মুখে পড়েন। এই ফোনালাপ ফাঁসের কারণে তার পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায় আরও কঠিন হয়ে যাবে।", "doc2": "Donald Trump: \"Ina buƙatar samo ƙuri'u 11,780\" \"Ina bukatar a nemo min kuri'u 11,780,\" inji Mista Trump cikin wani faifai da aka naɗa yana umartar Brad Raffensperger, sakataren gwamnatin Jihar Georgia, kuma ɗan jam'iyyar Republican ya aikata wannan babban laifin na maguɗin zaɓe. An ji Mista Raffensperger na gaya wa Mista Trump cewa sakamakon jihar Georgia daidai ya ke. Mista Joe Biden ne ya lashe zaɓen jihar Georgia da wasu jihohin, inda ya lashe zaben shugaban ƙasa da ƙuri'u 306, shi kuma Trump ya sami 232. Amma tun ranar zaɓen ta 3 ga Nuwamba, Mista Trump ya riƙa iƙirari cewa an yi gagarumin maguɗi a zaɓen ba tare da ya samar da wata hujja ba. Kawo yanzu dai, dukkan jihohi 50 na Amurka sun fitar da sakamakon zabukansu a hukumance, kuma kotunan Amurka sun yi watsi da kararraki 60 da aka shigar na sauya sakamakon da ya ba Mista Biden nasara. Ranar 6 ga watan Janairu majalisar kasa za ta tabbatar da sakamakon zaben a hukumance. Mista Biden, wanda dan jam'iyyar Democrat ne, za a rantsar da shi ne ranar 20 ga watan nan na Janairu. Wai me Trump ya ce ne cikin hirar? Cikin wani bangare da jaridar Washington Post ta fitar, ana iya jin shugaban na Amurka na roƙon jami'in, a wani lokacin kuma yana gargadin sakataren gwamnatin na Georgia. Ya dai nanata cewa shi n ya lashe zaɓen na Georgia kuma ya gaya wa Mista Raffensperger cewa babu laifi ko ƙalilan idan \"ka ce ka sake ƙidayar ƙuri'un\". Amma an ji Mista Raffensperger na mayar wa Mista Trump cewa: \"Kalubalen da ka ke fda shi a nan shi ne alƙaluman da ka ke da su ba na daidai ne ba.\" Can cikin tattaunawar, Msta Trump ya ce ana raɗe-raɗi cewa wasu na kekketa kuri'u, kuma suna ɗauke na'urorin zaɓe daga ƙaramar hukumar Fulton County ta jihar - ikirarin da Mista Raffensperber ya musanta. Daga nan ne shugaban na Amurka ya fara yi wa jami'in kashedin daukar matakin shari'a kansa. \"Ka san abin da suka yi amma ka ki sanar da kowa. Wannan babban laifi ne. Bai kamata ka kyale haka ya faru ba. Wannan babbar kasada ce a gareka da kuma ga Ryan, lauyanka,\" inji Mista Trump. Daga nan ne ya ce a nemo ma sa wasu ƙuri'u 11,780 - wadanda za su ba shi jumillar kuri'u 2,473,634 a jihar, wato ya doke Mista Biden - wanda ya sami kuri'u 2,473,633 da kuri'a daya ke nan. Ya bukaci Mista Raffensperger da ya sake duba sakamakon zaben na jihar. \"Kana iya sake duba sakamakon, amma ka sake dubawa da wadanda ke neman samar da amsoshi, ba wadanda ba sa son samar da amsoshi ba,\" inji shi. Sai Mista Raffensperger ya mayar ma sa da martani cewa: \"Amma Shugaba, ka san kana da mutanen da ke mika bayanai, mu ma muna mutanen da ke mia mana bayanai, kuma daga nan ne bayanan ke kai wa ga kotuna, wadda ita ce ke da hurumin yanke hukunci. Dole ne mu tsaya kan alkaluman da muke da su. Mun tabbata alkalumanmu ma su kyau ne.\" Ranar Lahadi sai Mista Trump ya wallafasako a Twitter cewa Mista Raffensperger ya ki mika bayanan magudin zaben da shugaban ya ke ikirarin an yi. \"Bai san komai ba!\", inji shugaban cikin sakon. Mista Raffensbperger ya mayar wa shugaban martani a shafinsa na Twitter: \"Cikin mutuntawa Shugaba Trump: Abin da ka ke faɗi ba gaskiya ce ba. Gaskiya za ta bayyana.\" Kawo yanzu dai Fadar White House ba ta ce uffan ba kan wannan faifan da aka fitar. Amma babban dan majalisar tarayya daga jam'iyyar Democrat Adam Schiff ya ce: \"An kware zanin yaudara da Trump kerufa da shi. An sake kama shi hannu dumu-dumu. A faifai.\" Shi kuma Adam Kinzinger, wani dan jam'iyyar Republican mai matsakaicin ra'ayi, shi ma ya fitar da sakon Twitter: \"Wannan gagarumin abin kunya ne. Ga dukkan 'yan majalisa da ke tunanin kalubalantar sakamakon wannan zaben, ina cewa babu wata hujja da za ku iya dogara da ita - musamman bayan da aka yi wannan tonon sililin - ba tare da kun zalunci kanku ba\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57212334", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-57198702", "doc1": "গাযার রুটি বিক্রেতা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাযায় টানা এগারো দিন তীব্র লড়াই চলার পর একটা আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই লড়াইয়ের তীব্রতার কারণে জাতিসংঘ একটা \"পুরো মাত্রার যুদ্ধ বাধার'' আশংকা প্রকাশ করেছিল। গোড়াতে গাযা ছিল মিশর অধিকৃত। ১৯৬৭ সালের মধ্য প্রাচ্য যুদ্ধের সময় ইসরায়েল গাযার দখল নেয়। পরে ২০০৫ সালে ইসরায়েল সেখান থেকে তাদের সৈন্য এবং প্রায় ৭ হাজার বসতিস্থাপনকারীকে সরিয়ে নেয়। গাযা এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। ২০০৭ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের ভেতর চরম মতভেদের পর হামাস গাযার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। এরপর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাযার ভেতর থেকে মালামাল ও মানুষের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাদের যুক্তি, জঙ্গীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটা স্বল্পস্থায়ী লড়াই হয়েছিল ২০১৪ সালে। আর এই বছর মে মাসে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংস লড়াই তীব্র মাত্রা নেয়। গাযায় সাম্প্রতিক এই লড়াইয়ে বহু ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ার পটভূমিতে গাযায় সর্বসাম্প্রতিক ১১দিনের রক্তক্ষয়ী এই লড়াই শুরু হয়। এর জেরে সংঘর্ষ হয়েছে শহরে মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র স্থানে। হামাস ইসরায়েলকে সেখান থেকে সরে যাবার হুঁশিয়ারি দেবার পর ১০ই মে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করলে ইসরায়েল পাল্টা বিমান হামলা চালায়। দুই পক্ষের লড়াই এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, দ্রুত সহিংসতার মাত্রা ২০১৪ সালে ইসরায়েল ও গাযার লড়াইকে ছাপিয়ে যায়। বিদ্যুতের তীব্র সঙ্কট গাযায় এমনি সময়ই প্রতিদিন বিদ্যুত চলে যায়। এই লড়াই শুরু হবার আগে গাযার বাসাগুলোতে পালা করে প্রতিদিন মাত্র আট ঘন্টার জন্য বিদ্যুত দেয়া হতো। আরও পড়তে পারেন: গাযায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত না থাকা সেখানকার জনজীবনে বিরাট একটা সমস্যা সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বিদ্যুতের লাইনগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সঙ্কট। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী দপ্তর (ওচা) বলছে এখন বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে বিদ্যুত আসছে দিনে মাত্র তিন চার ঘন্টা করে। কোথাও কোথাও তাও ভেঙে পড়েছে। গাযা ভূখন্ডে বিদ্যুত সরবরাহের একটা বড় অংশ আসে ইসরায়েল থেকে। খুব নগণ্য একটা অংশ উৎপাদিত হয় গাযার একটাই মাত্র বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র থেকে, আর সামান্য অংশ সরবরাহ করে মিশর। গাযার বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র এবং মানুষের বাসাবাড়িতে যে জেনারেটর আছে তার জন্য নির্ভর করতে হয় ডিজেল জ্বালানির ওপর। কিন্তু ইসরায়েল হয়ে যে জ্বালানি গাযায় আসে তা প্রায়শই বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে সাধারণ সময়েও বিদ্যুত সরবরাহ বিঘ্নিত থাকে। লড়াইয়ের ফলে তা এখন আরও তীব্র হয়েছে। সীমান্ত পারাপারের সমস্যা গাযা থেকে চলাচলের ক্ষেত্রে রয়েছে বড়ধরনের সমস্যা। হামাস ২০০৭ সালে গাযায় ক্ষমতা গ্রহণের পর, মিশর গাযার সাথে তাদের সীমান্ত মূলত বন্ধই করে রেখেছে। গত বছর করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য সীমান্তে আরও বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মিশরে যাতায়াতের জন্য রাফা সীমান্ত চৌকি এবং ইসরায়েলে ঢোকা ও বেরনর জন্য এরেজ সীমান্ত পারাপার চৌকি দুটোই ২০২০ সালে প্রায় ২৪০দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় এবং খোলা হয় মাত্র ১২৫ দিনের জন্য বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘ সংস্থা ওচা। মিশর ২০০৭ সাল থেকে গাযার সাথে তাদের সীমান্ত মূলত বন্ধই রেখেছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ ২০১৯ সালে দক্ষিণের রাফা সীমান্ত দিয়ে গাযা থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৫ হাজারে। উত্তরে এরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে যাতায়াতের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে কমে গেছে ২০২০ সালে - যার কারণ আংশিকভাবে ছিল করোনাভাইরাস ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধ। এবছর এরেজ সীমান্ত চৌকি দিয়ে গাযা থেকে বেরতে পেরেছেন মাত্র প্রায় ৮ হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগই ছিলেন চিকিৎসা নিতে ইসরায়েলে যাওয়া মানুষ অথবা রোগীর সাথে যাওয়া আত্মীয়স্বজন বা তাদের নিকটজন। সাম্প্রতিক এই লড়াই শুরু হবার আগে এই সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছিল। ত্রাণবাহী কিছু গাড়ির বহরকে যাতায়াতের অনুমতি দেয়া হচ্ছিল। এছাড়া সীমান্ত মূলত বন্ধই করে দেয়া হয়। সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে হামলা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাযার জনসংখ্যার প্রায় ৮০% বিদেশি ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় দশ লাখ মানুষ খাবার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য সহায়তার মুখাপেক্ষী। যাতায়াতের ওপর ইসরায়েল অবরোধ জারি করার ফলে গাযা থেকে ঢোকা ও বেরন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিশরের সাথে সীমান্তে মাটির নিচে দিয়ে এই চোরা সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে বাইরে থেকে খাদ্যসামগ্রী এবং অস্ত্রশস্ত্র আনার জন্য অবরোধের বেড়াজাল ডিঙাতে হামাস সুড়ঙ্গ পথের নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যার মাধ্যমে গাযা ভূখন্ডে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসা হতো। এই সুড়ঙ্গ থেকেই হামাস তাদের গুপ্ত কমান্ড কেন্দ্রও পরিচালনা করে। ইসরায়েল বলছে জঙ্গীরা এই টানেল বা সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করে চোখের আড়ালে ঘোরাফেরা করে। ফলে এই সুড়ঙ্গপথগুলো ধ্বংস করতে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। ফলে খাদ্য সরবরাহের চোরা পথও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসও স্থানীয় অর্থনীতির জন্য বড়ধরনের বিপর্যয় তৈরি করেছে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে গাযা এই অর্থনৈতিক বিপর্যয় সবে মাত্র কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিল। ফলে এই লড়াই সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বড়ধরনের একটা ধাক্কা দিয়েছে। বসবাসও গাযার বাসিন্দাদের জন্য কঠিন সমস্যা গাযা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাযায় আটটি শিবিরে গাদাগাদি করে বাস করেন প্রায় ৬ লক্ষ শরণার্থী। সাধারণত এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গড়ে বসবাস করেন ৫,৭০০র বেশি মানুষ- যে পরিসংখ্যান লন্ডনের জনঘনত্বের কাছাকাছি। কিন্তু গাযা সিটিতে এক বর্গ কিলোমিটারে বাস করেন ৯ হাজারের অধিক মানুষ। গাযা থেকে রকেট হামলা ও জঙ্গী অনুপ্রবেশ থেকে সুরক্ষার জন্য ইসরায়েল ২০১৪ সালে একটি বাফার জোন ঘোষণা করে। ইসরায়েল ও গাযার মধ্যে বেশ বিস্তীর্ণ এই এলাকা তারা গড়ে তোলে যাতে গাযা থেকে চালানো কোনরকম হামলা থেকে তাদের দেশ নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারে। কিন্তু এই বিস্তীর্ণ এলাকা বাফার জোনের অংশ করে নেওয়ায় স্থানীয় মানুষদের থাকার এবং কৃষিকাজের জন্য জমি অনেকটাই কমে গেছে। গাযার একটি ব্যস্ত রাস্তা আল-মুকতার স্ট্রিট- শহরের প্রাণকেন্দ্র। নিচের টুইটে লড়াইয়ে বিধ্বস্ত রাস্তার ছবি পোস্ট করেছেন এক টুইট ব্যবহারকারী। জাতিসংঘের হিসাব বলছে ২০১৪ সালের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার বসতবাড়ি। প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে তাদের বসতবাড়ি আবার নির্মাণ করার কাজে তারা সহায়তা দিয়েছিল। ওচা বলছে এখন সাম্প্রতিক এই যুদ্ধের কারণে কয়েকশ বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। অনেক বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে গেছে। তারা বলছে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে বেশ সময় লেগে যাবে। আরও পড়তে পারেন: স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে গাযার জন-স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা নানা কারণে সঙ্গিন। জাতিসংঘ সংস্থা ওচা বলছে ইসরায়েল ও মিশরের দিক থেকে অবরোধ, পশ্চিম তীর কেন্দ্রিক ফিলিস্তিনি প্রশাসনের গাযার জন্য অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য বরাদ্দ এবং ফিলিস্তিনি প্রশাসনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং হামাসের কর্মকাণ্ড সবই গাযার করুণ স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার জন্য দায়ী। জাতিসংঘ গাযায় ২২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালায়। ইসরায়েলের সাথে পূর্ববর্তী সংঘাতের সময়ই গাযার বেশ কিছু হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা একটি শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে গাযার কোন রোগীর যদি পশ্চিম তীর বা পূর্ব জেরুসালেমের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার দরকার হয়, তাহলে তাকে আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে তার জন্য অনুমোদন নিতে হবে। তারপর ইসরায়েল সরকারের কাছে গাযা থেকে বেরনর জন্য পাস যোগাড় করতে হবে। ২০১৯ সালে গাযা ভূখন্ড থেকে চিকিৎসা থেকে বেরন আবেদন অনুমোদনের হার ছিল ৬৫%। গত কয়েক মাসে করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রীতিমত প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। এপ্রিল মাসে গাযায় প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০০। মহামারি শুরু হবার পর থেকে গাযায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৪ হাজার। ভাইরাসে মারা গেছে ৯৪৬জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করেছে যে গাযা ইসরায়েল সীমান্তে বিধিনিষেধের কারণে শত্রুতার শিকার রোগীরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তো হচ্ছেই, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবেলার কাজও এর কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর কারণে \"গুরুত্বপূর্ণ\" টিকাদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষজন যুদ্ধের কারণে এখন আপদকালীন বাসস্থানে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেবার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বড়ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। খাবার ও জীবিকার সঙ্কট জাতিসংঘের হিসাবে গাযায় দশ লাখের ওপর মানুষ \"মাঝারি থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে\" শ্রেণিভুক্ত, যদিও সেখানে প্রচুর মানুষ কোন না কোন ধরনের খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকে। ত্রাণের খাদ্যবাহী গাড়ির বহর যাবার জন্য সীমান্ত পারাপারের চৌকিগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গোলাবর্ষণের কারণে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গাযার মানুষের কৃষিকাজ ও মাছধরার ওপর ইসরায়েল যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে তার ফলে গাযার বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার উৎপাদন করতেও অক্ষম। বহু পরিবার থাকেন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের ঘোষিত বাফার জোন এলাকায় গাযার মানুষ চাষবাস করতে পারেন না। এই এলাকা সীমান্তে গাযার দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এর কারণে গাযায় বছরে আনুমানিক ৭৫ হাজার টন কম ফসল উৎপাদিত হয়। ইসরায়েল গাযার জন্য মাছ ধরার ক্ষেত্রেও সীমানা বেঁধে দিয়েছে। গাযার বাসিন্দাদের উপকূল থেকে মাত্র কিছু দূর পর্যন্ত মাছ ধরার অনুমতি আছে। জাতিসংঘ বলছে এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলে মাছ ধরে গাযার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে পারত। এবং এলাকার মানুষ সস্তায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার সুযোগ পেত। এগারো দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইসরায়েল গাযা ভূখন্ড থেকে কোনরকম মাছ ধরার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত কয়েক বছরে ইসরায়েল বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরার এলাকার সীমানা বিভিন্নভাবে বদলেছে। ফলে গাযার প্রায় ৫ হাজার জেলে ও মৎস্য খাতে সংশ্লিষ্টদের রুজিরোজগারে বড়ধরনের বিঘ্ন তৈরি হয়েছে। পানির নিত্য সঙ্কট গাযার বেশিরভাগ মানুষ পানির সঙ্কটে দিন কাটান। কলের পানি লবণাক্ত এবং দূষিত এবং পানের উপযোগী নয়। রাস্তার কল থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয় গাযা বহু বাসিন্দাকে গাযার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের বাসায় পাইপ লাইনে পানির সংযোগ থাকলেও ওচা বলছে পরিবারগুলো পানি প্রায় অনিয়মিতভাবে। ২০১৭ সালে পরিবারগুলো কলের পানি পেত প্রতি চার দিন অন্তর মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টার জন্য। এর কারণ ছিল পানি পাম্প করার জন্য বিদ্যুতের অভাব। সর্বসাম্প্রতিক এই লড়াইয়ের ফলে এই সমস্যা আরও সঙ্গিন হয়েছে। পানির সরবরাহ আরও কমে গেছে বিদ্যুতের অভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে তারা মাথা পিছু প্রতিদিন ১০০ লিটার পানির নূন্যতম একটা বরাদ্দ বেধে দিয়েছিল। এই বরাদ্দ ছিল খাওয়া, ধোয়া, রান্না ও গোসল করার প্রয়োজন মেটানোর জন্য নূন্যতম বরাদ্দ। গাযায় পানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয় গড় পরিমাণ মাথা পিছু প্রায় ৮৮ লিটার। পয়ঃনিষ্কাশনও আরেকটা বড় সমস্যা। ৭৮% বাসাবাড়ি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকলেও বর্তমান ব্যবস্থা তা সামাল দিতে অক্ষম। ওচা বলছে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার অপরিশোধিত অথবা আংশিক পরিশোধিত বর্জ্য ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়ছে। সমস্যা মোকাবেলার জন্য ২০২১য়ের গোড়ায় নতুন একটি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট বসানো হয়েছে। সাম্প্রতিক লড়াইয়ে গাযার বেশিরভাগ বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে স্কুলগুলোতে। ফলে লেখাপড়া ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। শিক্ষাও বিপর্যস্ত গাযার বহু শিশুই জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে লেখাপড়া করে। সাম্প্রতিক যুদ্ধের কারণে বেশিরভাগ স্কুলভবন এখন আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে পরিবারগুলো এইসব স্কুলভবনে আশ্রয় নিয়ে আছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার হিসাব বলছে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৭৫টি স্কুলের মধ্যে ৬৪% এখন দুই শিফটে স্কুল চালাচ্ছে। এক শিফট সকালে এক শিফট বিকেলে।", "doc2": "Rikici tsakanin Gaza da Isra'ila a baya-bayan nan ya kazanta zuwa mummunan tashin hankali da hakan ya sa Majalisar Dinkin Duniya yin gargadi na \"gagarumin yaki\". Gaza wanda tun asali kasar Masar ce ta mamaye, kasar Isra'ila ce ta kame yankin a lokacin yakin Gabas ta Tsakiya a shekarar 1967. Isra'ila ta janye dakarunta da 'yan kasarta mazauna yankin 7,000 a shekarar 2005. Yankin ya kasance karkashin ikon kungiyar Hamsa ta mayaka masu kaifin kishin Islama, wacce ta fatattaki dakarun da ke goyon bayan hukumar Falasdinu (PA) a wancan lokacin, bayan rikicin shekarar 2007. Tun daga wannan lokaci, kasashen Isra'ila da Masar suka takaita kai-komon jama'a da kaya zuwa ciki da waje, a wani abu da suka bayyana da daukar matakai kan mayakan. Kungiyar Hamas da Isra'ila sun gwabza fada takaitacce a shekarar 2014, kana a shekarar 2021 fadan ya sake rincabewa. An lalata gine-gine da dama a rikicin na kwanan nan Shin menene ya rura wutar rikicin? Rikicin Gaza ya fara ne bayan shafe makonni ana fito-na-fito a yankin Gabashin Kudus da ya rikide ya zama mummunar arangama a masallaci al'Aƙsa wanda Musulmai da Yahudawa ke darajtawa. A ranar 10 ga watan Mayu kingiyar Hamas ta fara harba rokoki bayan da ta gargadi Isra'ila da ta janye daga wurin, wanda ya haifar da hare-hare ta saman a mayar da martani. Musayar hare-haren sun kara zafafa inda ba tare da bata lokaci ba rikicin ya kara zama mafi muni da aka taba samu tsakanin Isra'ilar da Gaza tun bayan na shekarar 2014. Rokoki sun lalata hanyoyin wutar lantarki Daukewar wutar lantarki ya zama ruwan dare a Gaza. Kafin karuwar rikicin baya-bayan, gidaje a Gaza na samun wutar lantarki da ake jujjuyawa na sa'oi takwas-takwas. Dauke wutar lantarki ya zama ruwan dare a Gaza Tashin hankalin baya-bayan nan ya lalata hanyoyin wutar lantarki tare da haifar da koma bayan samun man fetur. Kamar yadda ofishin Majalisar Dinkin Duniya mai lura da agajin jin ka (Ocha) ya bayyana, akasarin gidaje yanzu suna samun wutar lantarki na tsawon sa'oi uku zuwa hudu ne kacal a ko wace rana. Zirin na samun akasarin wutar lantarkinsa ne daga Isra'ila tare da karin gudumawar tashar samar da wutar lantarki daya kadai da ake da ita a Gaza da kuma kadan daga kasar Masar. Duka tashar samar da wutar lantarkin Gaza (GPP) da kuma injinan janareto na mutane da dama sun dogara ne ga man inji, amma kuma an toshe hanyar samar da shi daga Isra'ila, da hakan ya haifar da karin damuwa. Rufe tsallaken kan iyakoki Tun bayan da kungiyar Hamsa ta karbe iko a Gaza a shekarar 2007, kasar Masar ta rufe kan iyakarta da Gaza. A shekarar da ta gabata aka kara tsaurara maakai don kokarin hada yaduwar cutar korona. An rufe duka tsallaken Rafah zuwa cikin kasar Masar da tsallaken Erez zuwa cikin kasar Isra'ila a cikin kwanaki 240 kana a bude a cikin kwanaki 125 a shekarar 2020, kamar yadda kididdigar hukumar Ocha ta nuna. Masar ta rufe iyakarta da Gaza a rufe tun shekarar 2007 A shekarar 2019 mutane kusan dubu saba'in da takwas (78,000) ne suka fice daga Gaza ta cikin kan tsallaken Rafah amma a shekarar 2020 hakan ya ragu zuwa dubu ashirin da biyar (25,000). A arewaci, tsallaken zuwa cikin Isra'ila a Erez shi ma ya ragu sosai a shekarar 2020 - saboda dokokin annobar korona. A cikin wannan shekarar mutane kusan dubu takwas (8,000) ne suka fice daga Gaza ta cikin tsallaken Erez, akasari marasa lafiya ko kuma mutanen da ke musu rakiya ne zuwa neman magani a Isra'ila. Kafin tashin hankalin baya-bayan nan, an soma samun zirga-zirgar ababan hawa. Wasu kwambar motocin masu abayar da agaji tuni aka amince su wuce, amma in baya ga haka duka tsallaken na cigaba da kasancewa a rufe. Ana kai farmaki kan hanyoyin karkashin kasa Kusan kasha tamanin bisa dari (80%) na yawan al'ummar Gaza sun dogara ne ga agajin da suke samu daga kasashen waje, kamar yadda Majalisar Dinkin Duniya ta bayyana, kana mutane kusan miliyan daya ne suka dogara da abincin agajin da suke samu a kullum. Rufe kan iyakokin da Isra'ila ta yi ya yi mummunan tasiri kan zirga-zirga a ciki da wajen Zirin da kuma harkokin cinikayya. An gina ramuka a ƙarƙashin iyakar Masar don shiga da kayayyaki da makamai Kungiyar Hamsa ta gina hanyoyin karkashin kasa don kokarin wucewa, wanda ta ke amfani da su wajen shigo da kaya cikin Zirin kana a matsayin cibiyar gudanar da ayyukan sojin ta na karkashin kasa. Isra'ila ta ce su ma hanyoyin karkashin kasar mayakan na amfani da su ne wajen yin bad-da-sawu kuma ana kai musu hare-hare ta sama. Ita ma cutar korona ta yi mummunan tasiri kan tattalin arzikin yankin, amma yanzu y afara nuna alamun farfadowa, kamar yadda Bankin Duniya ya bayyana a lokacin da fadan ya barke. Cunkuso da kuma lalatattun gidaje Gaza na da yawan cunkoson jama'a mafi girma a duniya. Kamar yadda Majalisar Dinkin Duniya ta bayyana, 'yan gudun hijira kusan dubu dari shida (600,000) a Gaza na zaune ne a sansanoni takwas masu cunkoso. A tsaka-tsaki dai akwai mutane fiye da dubu biyar da dari bakwai (5,700) a ko wane fadin murabba'in kilomita - iri daya da na yawan al'umma a birnin London - amma kuma wannan adadi ya karu da fiye da dubu tara (9,000) a birnin Gaza. Isra'ila ta ayyana yankunan tudun mun tsira a kusa da kan iyaka a shekarar 2014 don kare kan ta daga hare-haren rokoki da kutsen masu tayar da kayar baya. Yankin ya rage yawan filin da ake da shi wanda mutane za su iya zama ko su yi noma a kai. Majalisar Dinkin Duniya ta kiyasta cewa an lalata ko kuma rushe gidaje kusan dubu dari da arba'in(140,000) a tashin hankalin shekarar 2014, kuma tuni ta tallafa wa iyalai kusan dubu casa'in (90,000don su sake gina gidajensu. OCHA ta ce daruruwan gidaje ne suka lalace a fadan baya-bayan nan, amma zai dauki lokaci kafin a iya tantance takamaimen yawan asarar da aka tafka. Cibiyoyin kiwon lafiya sun cunkushe Bangaren kiwon laifya a Gaza na cikin matsanancin hali saboda dalilai da dama. OCHA ta bayyana cewa rufe hanyoyin da Isra'ila da Masar suka yi ya haifar da tsaiko wajen samun kayan kiwon lafiya daga Gabar Yamma ta Kogin Jordan, da kuma rikicin siyasar cikin gida tsakanin hukumonin Falasdinu - wanda ke da daukar nauyin samar da kiwon lafiya a yankunan Falasdinawa - kana dole a dora alhakin duka a kan kungiyar Hamas. Majalisar Dinkin Duniya ta taimaka ta hanyar kafa cibiyoyin kiwon lafiya 22. Amma adadin asibitocin da dakunan shan magani sun lalace ko kuma rushe a lokacin rikicin baya-bayan nan da Isra'ila. Marasa lafiya daga Gaza da ke bukatar taimako a Gabar Yamma ta Kogin Jordan ko asibitocin Gabashin Kudus dole su fara samun amincewar bukatun na su daga hukumar ta Falasdinu (PA) da kuma takardar izinin shiga daga gwamnatin Isra'ila - a shekarar 2019, yawan adadin takardun amincewar ga marasa lafiya na su fita daga Zirin Gaza kashi 65 bisa dari (65%) ne. Cikin watannin kadan da suka gabata, halin da aka shiga da kiwon lafiya ya kara ta'azzara ne saboda annobar korona. A cikin watan Afrilu, an samu karuwar matsalar kusa 3,000 a rana a Gaza. An samu mutanen da suka kamu da cutar fiye da dubu daru da arba'in (104,000) tun bayan barkewar annobar, kana mutane fiye da dari tara da arba'in da shida (946) ne suka mutu da cutar. Kungiyar Lafiya ta Duniya (WHO) ta yi gargadin cewa tsaurara rufe kan iyakokin ba sun takaita ne kawai ga hada samun kiwon lafiyar ceton rayuka bane ga wadanda rikicin ya rutsa da su, amma suna haifar da koma-baya na kokarin yaki da cutar korona. WHO din ta ce yana shafar ''muhimman'' shirye-shiryen bayar da allurar riga-kafi kana yana kara haifar da barazanar yaduwar cutar yayin da mutane ke neman mafaka a wurin 'yanuwa ko kuma matsugunai na gaggawa. Cikas ga kwambar motocin abincin agaji Mutane fiye da miliyan daya ne a Gaza aka kasafta a matsayin ''matsakaita zuwa masu matsanancin bukatar abinci'', kamar yadda Majalisar Dinkin Duniya ta bayyana, duk da cewa da dama suna samun agajin abinci. An bude tsallaken kan iyakoki don barin kwambar motocin abincin agaji shiga, amma kuma lugudan wuta ya haddasa tsaikon rarraba kayyakin. Dokokin da Isra'ila ta tsaurara kan samun filayen noma da kamun kifi sun rage yawan abincin da 'yan Gaza ke samar wa kan su. Iyalai da yawa na rayuwa ne a sansanonin 'yan gudun hijira Ba a amince musu yin noma a yankin da Isra'ila ta ayyana a matsayin tudun-mun-tsira ba - mai fadin kilomita 1.5 ko kuma mil tara (0.9) a bangaren kan iyakar Gaza - kana hakan ya haddasa karancin samar da abincin da aka kiyasata tan dubu saba'in da bakwai (75,000) na amfanin gonar da ake nomawa a ko wace shekara. Isra'ila ta kafa dokar takaita kamun kifi da hakan ke nufin 'yan Gaza za su iya yin kamun kifin ne kawai a wasu wurare masu nis ana bakin tekun. Majalisar Dinkin Duniya ta ce idan aka cire takunkumin, kamun kifin zai samar da ayyukan yi da kuma hanyoyi mafi sauki na samun abinci mai gina jiki ga mutanen Gaza. Bayan karuwar tashin hankalin baya-bayan nan, Isra'ila ta haramta kamun kifi a Zirin Gaza na wucin gadi. A cikin shekarun baya ta kafa dokoki da dama kan wuraren kamun kifi, da ya haifar da cikas ga hanyoyin samun kudaden shiga masunta kusan dubu biyar da kuma masu sana'oi makamantan haka. Karancin ruwan sha ya zama ruwan dare Mutane da dama a Gaza na fama da matsalar karancin ruwan sha. Ruwan famfo ya kasance da dandanon gishiri kuma gurbatacce, bai dace a sha ba. Yayin da akasarin gidajen Gaza ke kan bututun samar da ruwan sha, Ocha ta ce iyalai kan samu ruwan famfon na sa'oi shida zuwa takwas ne a ko wane kwanaki hudu a shekarar 2017 saboda karancin wutar lantarko. Hakan ya sake raguwa saboda hare-haren baya-bayan nan. Kungiyar Lafiya ta Duniya ta tsara adadin ruwan shan da ake bukata a rana a kan lita dari kan ko wane mutum - don samun na sha, da wanki, da wanka, da kuma na girki. A gaza akan samu kusan litoci 88 na bukatar ruwan shan. Hanyoyin magudanar gurbataccen ruwa da ba-haya babbar matsala ce. Duk da cewa kashi 78 bisa dari (78%) na gidajen jama'a suna hade da bututan magudanar gurbataccen ruwan da ba-baya, matatar ruwan ta gajiya. Ocha ta ce ana tace fiye da lita miliyan dari na gurbataccen ruwan da ake tur awa cikin tekun Bahar Rum a kullum. Sabuwar atatar ruwan ta fara aiki ne a farkon shekarar 2021 don taimakawa wajen shawo kan matsalar. Amfani da makarantu a matsayin matsugunai Kananan yara da dama na zuwa makarantun da Majalisar Dinkin Duniya ta kafa, kuma akasarin su na zama a matsayin matsugunai ga mutanen da suka tsere daga lugudan wutar da ake yi. Kamar yadda hukumar lura da 'yan gudun hijira ta Falasdinu ta bayyana, kashi 64 bisa dar (64%) na makarantun ta 275 na bin tsarin karba-karba ne, akwai lokacin karatun safe, akwai kuma na yamma. Mutane da yawa na neman mafaka a makarantun MDD daga luguden wuta Azuzuwan kan dauki adadin dalibai 41 ko wanne a shekarar 2019. Adadin dalibai daga shekara 15 zuwa 19 da ke karatu yanzu kashi casa'in da tara (99%)- ya karu sosai ne a cikin shekaru kadan da suka gabata. Rashin aikin yi a tsakanin matasa ya karu Gaza na da mafi yawan adadin matasa a duniya, da kusan kasha sittin da biyar bisa dari (65%) na yawan al'umma kasa da shekara 25, kamar yadda binciken hukumar CIA yan una. Matasa da dama ba su da aikin yi. Wani rahoton hukumar OCHA daga shekarar 2020 ya ce rashin aikin yi a tsakanin matasan ya kai kashi 70 bisa dari (70%), saboda annobar korona."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53320855", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53316095", "doc1": "অনেকে মনে করেন বাদুড় থেকে বর্তমান করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। কোভিড-১৯ এর মতো রোগের বৃদ্ধির জন্য তারা প্রাণীজাত প্রোটিন বা আমিষের তীব্র চাহিদা, পরিবেশের কথা বিবেচনা না করে করা কৃষিকাজ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, এধরনের রোগের ব্যাপারে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না, কিন্তু এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব রোগের কারণে আর্থিক ক্ষতিও কম নয়। বলা হচ্ছে, কোভিড-১৯ রোগের ফলে আগামী দু’বছরে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইবোলা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এবং সার্স – এসবও জুনটিক রোগ। এগুলো শুরু হয়েছে প্রাণী দেহে, পরে সেখান থেকে ছড়িয়েছে মানবদেহে। কিন্তু প্রাণী থেকে এসব রোগ মানুষের মধ্যে আপনা-আপনি আসে না। ব্রাজিলে বাঁধ ভেঙে একটি বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশ ও গবাদিপশু সংক্রান্ত গবেষণা ইন্সটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব ভাইরাস মানবদেহে আসে প্রাকৃতিক পরিবেশে হস্তক্ষেপের কারণে। এসব হস্তক্ষেপের মধ্যে রয়েছে জমির ক্ষতিসাধন, বন্যপ্রাণীর ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। গবেষকরা বলছেন এসবের কারণে মানুষ ও প্রাণীর সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটছে। “গত শতাব্দীতে আমরা অন্তত ছয় বার নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখেছি,” বলেন ইঙ্গার এন্ডারসেন, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব এবং পরিবেশ কর্মসূচির প্রধান নির্বাহী। “কোভিড-১৯ এর আগে গত দুই দশকে জুনটিক রোগের কারণে ১০০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।” তিনি বলেন, “এ ধরনের রোগে প্রত্যেক বছর নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব অসুখের মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্স, বোভাইন যক্ষা এবং জলাতঙ্ক।” তিনি বলেন, গবাদিপশুর ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীলতা এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এসব ঘটছে। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে মিস এন্ডারসেন এরকম একটি উদাহরণ টেনে বলেন যে গত ৫০ বছরে মাংসের উৎপাদন ২৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। “আমরা কৃষিকাজ বাড়িয়েছি, বনাঞ্চলে অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে সেখান থেকে সম্পদ আহরণ করছি।” তিনি বলেন, “মানুষের শরীরে যতো সংক্রামক রোগ হয় তার ২৫ শতাংশের সাথে বাঁধ, সেচ, কারখানা, খামারের সম্পর্ক রয়েছে। ভ্রমণ, পরিবহন এবং খাদ্য সরবরাহের চক্র - এসবের ফলে সীমান্ত ও দূরত্ব মুছে গেছে। জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনও দায়ী।” ভবিষ্যতে এধরনের মহামারি ঠেকাতে কী ধরনের কৌশল নিতে হবে সেবিষয়ে সরকারগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে জমির পরিকল্পিত ব্যবহার, জীব বৈচিত্র বাড়ানো এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরো বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। “বিজ্ঞানে এটা স্পষ্ট যে বন্যপ্রাণীর যথেচ্ছ ব্যবহার এবং পরিবেশ ধ্বংস করার কারণে মানবদেহে জুনটিক রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।” তিনি বলেন, এসব বন্ধ করা না হলে আগামীতে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগের প্রবাহ বাড়তেই থাকবে। “ভবিষ্যতে এসব রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হতে হবে।” বিবিসি বাংলায় আরো খবর: একদিনে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু বান্দরবানে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ছয়জন করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন", "doc2": "Ana hasashen cewaJemagu ne tushen annobar korona An ɗora laifin cututtukan masu yaɗuwa kamar cutar korona kan yadda ake yawan dogaro da samun sinadari mai gina jiki daga dabbobi da ayyukan noma da kuma sauyin yanayi. Rahoton hukumar bincike kan muhalli ta Majalisar Ɗinkin Duniya ya gano cewa a duk shekara irin wadannan cutuka da dabbobi ke shafawa mutane na kashe mutun miliyan biyu a duk shekara. Sannan annobar korona za ta janyo mummunan hasara ga tattalin arzikin duniya dala tiliyan tara tsawon shekaru biyu. Cutar Ebola da Sars har ma da cutar Korona dukkaninsu daga dabbobi suka yaɗu zuwa ga mutane. Me rahoton ya ce? Rahoton ya ce ƙaruwar ba kai tsaye ba ne, ya faru ne daga lalacewar muhalli - misali ta hanyar lalacewar ƙasa da farautar dabbobi da haƙar albarkatun ƙasa da kuma sauyin yanayi wanda ya sauya yada dabbobi ke mu'amula da mutane. \"A cikin ƙarni daya an samu aƙalla annoba sau shida na naurin korona,\" a cewar Inger Anderson, shugabar hukumar kare muhalli ta Majalisar Ɗinkin Duniya. \"A shekaru 20 da suka gabata, kuma kafin ɓarkewar annobar korona, cututtukan da ake samu daga dabbobi sun janyo hasarar dala biliyan 100. Ta ce mutum miliyan biyu ke mutuwa duk shekara a ƙasashe masu ƙaramin ƙarfi da matsakaita daga cututtukan da dabbobi ke shafawa mutane da ba a damu da su ba. \"Wannan ya shafi al'umomin da ke tattare da matsaloli na ci gaban rayuwa da kuma dogaron da suke da dabbobi da kusanci da namun daji.\" Buƙatar nama, misali ya karu da kashi 260 a shekaru 50, inji Ms Andersen. Ta ƙara da cewa mun ƙara inganta harakar noma, da faɗaɗa abubuwan more rayuwa haƙar ma'adinan ƙarkashin kasa a dazuka. Madatsun ruwa da noman rani da gonaki na da alaƙa da kashi 25 na cuttukan da ke yaɗuwa ga mutane. Tafiye tafiye da sufuri da hanyoyin samar da abinci sun tayar da kan iyakoki da tazara. Sauyin yanayi ya taimaka ga yaɗuwar kwayoyin cuta. Rahoton ya ba gwamnatoci shawarwri kan yadda za su ɗauki matakan kaucewa sake ɓarkewar wata annoba nan gaba, kamar kula da ƙasa da kashe kuɗi domin gudanar da binciken kimiya. \"Ilimin kimiyya ya fayyace cewa idan muka ci gaba da farautar namun daji da lalata muhallinmu, to za mu ci gaba da fuskantar wadannan annoba da ke yaɗuwa daga dabbobi zuwa ga mutane a tsawon shekaru masu zuwa,\" inji Andersen Ilimin kimiyya ya bayyana a sarari cewa idan muka ci gaba da amfani da dabbobin daji da lalata muhalli, to za mu iya tsammanin ganin kwararar wadannan cututtukan suna tsalle daga dabbobi zuwa ga mutane a shekaru masu zuwa, \"in ji Ms Andersen."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54868911", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55745020", "doc1": "করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। সেই পদক্ষেপে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। তার শিবির থেকে জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং মার্কিন নাগরিকদের মাস্ক পরতে বলা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তন সেই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া নীতিমালাগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করবেন তিনি। যদিও মি. ট্রাম্প বলেছেন বাইডেনের জয় এখনো অনুমান যেহেতু কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে এখনো ব্যালট গণনা চলছে। তবে বাইডেন শিবির জানুয়ারিতে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া বেশকিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার হয় না, সেগুলোকে আগের অবস্থানে নেবার পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে আবারো যোগ দেবে দেশটি। এখনো হার মানেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন জো বাইডেন। যে সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে। বারাক ওবামার সময়কার কিছু নীতিকে পুনর্বহাল করবেন। বিশেষ করে শিশু বয়সে যারা কোন বৈধ কাগজ ছাড়া অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া। জো বাইডেন তার বিজয়ী ভাষণেও আসছে দিনগুলোতে তার নীতিমালা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিয়েছেন। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার হেরে যাবার দিনটি যেভাবে কাটালেন যে পাঁচটি কারণে নির্বাচনে জিতেছেন জো বাইডেন তার একটি হচ্ছে, \"আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা বন্ধ করতে হবে।\" ভাষণে জো বাইডেন ঐক্য, সহনশীলতা, সহযোগিতার সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানান। ভাইস প্রেসিডেন্ট 'ইলেক্ট' কমালা হ্যারিসের সাথে মিলে এরই মধ্যে একটি ট্রানজিশন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে করোনাভাইরাস মহামারিকে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। মহামারি মোকাবেলায় পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে করোনাভাইরাস মহামারিকে যেভাবে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রেই। জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের এসব নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার বিজয়ী ভাষণেই একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন যারা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেবেন। জো বাইডেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চান। সকল মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিয়মিত বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং সকলের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্য ভিত্তিক নির্দেশিকা প্রচলন করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৩৭ হাজারের মতো মানুষ করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদক্ষেপ পরিকল্পনা হচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মৃত্যুকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভে বর্ণবৈষম্য মোকাবেলা জো বাইডেন এমনই এক সময়ে দায়িত্ব নেবেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের একের পর এক মৃত্যুকে ঘিরে দীর্ঘ সময়ে সহিংস বিক্ষোভে চলেছে। ট্রাম্পের সময়ে বর্ণভিত্তিক বিভেদ বৃদ্ধি এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মি. বাইডেন বর্ণভিত্তিক বৈষম্য উচ্ছেদকে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত হিসেবে তৈরি করতে চান। তিনি সরকারি তহবিল ব্যবহার করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান। কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পদের বৈষম্য দুর করতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে সেটি নিশ্চিত করতে চান। পুলিশ বাহিনীর জন্যেও কিছু পরিবর্তন পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ করে কোন অপরাধীকে আটক করার সময় কিছু শক্তি প্রদর্শনের পন্থা। পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের জন্য একটি কমিশন করার কথাও ভাবছেন তিনি। অন্যান্য খবর: যে আসামির কারামুক্তির শর্ত মা ও সন্তানদের দেখভাল করা কুমিল্লায় হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় খোঁজ নিচ্ছে ভারত মিয়ানমার নির্বাচন: রোহিঙ্গা নিয়ে কার কী অবস্থান, অং সান সু চি জিতবেন?", "doc2": "Shugaba Biden bai bata lokaci ba wajen sanya hannu kan dokokin da za su dakatar da alkiblar Amurka kan sauyin yanayi da bambancin launin fata \"Babu lokacin da za mu bata kan batutuwan da ke fuskantar mu,\" kamar yadda ya sanar a wani sakon Twitter yayin da yake kan hanyarsa ta zuwa Fadar White House ji kadan bayan an ransar da shi. Shugaba Biden ya sanya hannu kan wasu dokokin shugaban kasa 15, ta farkonsu ita ce wadda za ta bunkasa aikin kawar da annobar korona. Sauran dokokin sun yi watsi ne da manufofin gwamnatin Trump kan sauyin yanayi da shige-da-fice. Mista Biden ya kama aiki ne a ofishinsa na Oval bayan da aka rantsar da shi ranar Laraba a matsayin shugaban Amurka na 46. Wannan bikin ya kasance irin wanda ba a taba ganin irinsa ba a tarihin Amurka saboda annobar korona, inda aka rage yawan bukukuwa a wanjen rantsar da sabon shugaban. Donald Trump - wanda har zuwa jiyan bai mika wuya cewa ya sha kaye ba a hannun Joe Biden - ya ki halartar bikin kamar yadda aka saba gani a al'adance. Waɗanne dokoki Biden ya sanya wa hannu? Shugaba Biden \"zai dauki mataki - ba kawai ta juya wa manufofin Trump baya ba - amma zai yi haka ne domin ciyar da kasarmu gaba,\" inji wanta sanarwar da aka fitar yayin sanya hannu kan dokokin shugaban kasar. Akwai wasu jerin matakai da za a dauka domin dakile annobar korona da ta lakume fiye da rayukan mutum 400,000 a Amurka. Akwai kuma wata bukata ta musamman da za a fitar kan sanya takunkumi da nayar da tazara tsakanin mutane a dukkan gine-gine da ofisoshin gwamnati. Za a kuma samar da wani sabon ofis da zai rika kawo daidaito kan martanin da Amurka za ta rika mayar wa kan annobar korona - matakin da gwamnatin Trump ta fara aiki a kai - na janyewa daga Hukumar Lafiya ta Duniya, WHO. Mista Biden na son yi wa Amurkawa miliyan 100 allurar riga-kafi cikin kwana 100 na farkon mulkinsa Wannan matakin sake kulla dangantaka da WHo ya faranta wa shugaban Majalisar Dinkin Dunya Antonio Guterres, wanda ya ce \"abu ne mai matukar muhimmanci\" a hada kai wuri guda domin magance annobar korona. Mista Biden ya kuma dage kan mayar da yaki da sauyin yanayi, wanda zai mayar da shi ciki mayan manufofin gwamnatinsa. Ya sanya hannu kan mayar da Amurka cikin yarjejeniyar sauyin yanayi ta 2015 wadda aka kulla a birnin Paris, wanda Mista Trump ya janye Amurka daga ciki a bara. Mista Biden ya kuma kwace wata dama da aka bayar na hakar mai wadda aka fi sani da Keystone XL Pipeline, wanda masu fafutuka ciki har da Indiyan dajin Amurka su ka dade suna kamfen a soke. Aikin samar da bututun mai na Keystone XL Pipeline ya janyo shekaru na bacin rai A kan shige-da-fice, Mista Biden ya soke dokar na da Mista Trump ya kafa da ta ba shi damar gina katanga tsakanin Amurka da Mexico, kuma ya kawo karshen hanin da aka yi wa Musulmi daga wasu kasashe shiga Amurka. Akwai kuma wasu dokokin da aya sanya wa hannu kan batutuwan nuna bambanci launin fata da daidaito tsakanin jinsunan kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55593123", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-41859633", "doc1": "বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ক্ষত সারানোর এবং সমঝোতার‘ কারণ, বুধবার ক্যাপিটলে অর্থাৎ মার্কিন কংগ্রেস ভবনে তার সমর্থকদের নজিরবিহীন তাণ্ডব চলার সময় যে ভিডিও বার্তা এবং টুইট তিনি পোস্ট করেছিলেন - তার সাথে গতকালের বার্তার সুর ও বক্তব্য ছিল অনেকটাই আলাদা। ওয়াশিংটনের বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপলের ভাষায়, ‘ইউ টার্ন‘ অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মি. ট্রাম্প যেন উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন। গতকাল তিনি মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ২০ জানুয়ারিতে “মসৃণভাবে নিয়মমতো“ নতুন প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে ক্ষত সারানোর এবং সমঝোতার।“ বুধবারের তাণ্ডবে অংশ নেওয়া সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে তার কড়া ভাষার ব্যবহারে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্য সব আমেরিকানের মত তিনিও “অরাজকতা এবং ভাঙচুর“ দেখে ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। মি. ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার গণতন্ত্রের পীঠস্থানে“ এই “ঘৃণ্য হামলার“ সাথে যারা জড়িত ছিল - তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। অথচ তার ২৪ ঘণ্টা আগে তার ভিডিও বিবৃতিতে এই সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন “তোমরা স্পেশাল“ এবং “আমি তোমাদের ভালোবাসি।“ ওয়াশিংটনে একজন ট্রাম্প সমর্থক, জানুয়ারি ৬, ২০২১ সেই সাথে ঐ দিনই তিনি টুইট করেছিলেন, “যখন মহান দেশপ্রেমিকদের কাছ থেকে পবিত্র এবং বিপুল একটি নির্বাচনী বিজয় জঘন্য-ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তার পরিণতিতে এমন ঘটনাই ঘটে।“ অর্থাৎ পরোক্ষভাবে তিনি কংগ্রেস ভবনে ঐ তাণ্ডবকে সমর্থন করেন। যে কারণে টুইটার এবং ফেসবুক তার অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়। চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ভাষা ও ভঙ্গির এই বদলে প্রেসিডেন্টের কট্টর সমর্থকরা হয়ত বিস্মিত হচ্ছেন, ক্ষুব্ধ হচেছন। বিশেষ করে যারা বুধবার - তার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই হয়তো - ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করার সাহস দেখিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গতকালের বিবৃতির পর অনেক বিশ্লেষক বলছেন, নভেম্বর নির্বাচনের পর এই প্রথম তিনি পরোক্ষভাবে পরাজয় স্বীকার করলেন। যদিও মুখে তিনি তা বলেননি এবং একবারও জো বাইডেনের নাম বা তার তার বিজয়ের কথা মুখে আনেননি। প্রশ্ন হচ্ছে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুর বদলালেন? ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির জন সোপল বলছেন, দুটো সম্ভাব্য কারণ হতে পারে : এক, কংগ্রেস জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে অনুমোদন করার পর মি. ট্রাম্প এখন বুঝতে পেরে গেছেন যে ফলাফল বদলানোর আর কোনো চেষ্টাই কাজ করবে না। তাই আপাতত ক্ষান্ত দিয়ে হোয়াইট হাউজ পরবর্তী কৌশল নিয়ে ভাবতে চাইছেন তিনি। ক্যাপিটল ভবনের ভেতর একদল ট্রাম্প সমর্থক, ০৬/০১/২০২১ দ্বিতীয় কারণ, বুধবারের ঘটনার পর নিজের দল এবং প্রশাসনের কাছ থেকে যে চাপ তার ওপর তৈরি হয়েছে তাতে সুর বদল করা ছাড়া কোনো বিকল্প হয়ত তার সামনে এখন নেই। প্রেসিডেন্টর “আচরণের“ প্রতিবাদে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সহ দল এবং প্রশাসনের যেসব ব্যক্তি গত চার বছর ধরে তার সুরে কথা বলেছেন, তাদের অনেকেই তার কথা শুনছেন না। জন সোপল বলছেন, বিশেষ করে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী উত্থাপন করে তাকে ক্ষমতাচ্যূত করার কথাবার্তা নিয়ে মি. ট্রাম্প হয়ত ঘাবড়ে গেছেন। অবশ্য মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ইমপিচমেন্ট বা সংবিধানের ২৫ সংশোধনী এনে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব নয়। কিন্তু তার সরকারের ভেতর থেকেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো উদ্যোগও তার শাসনামলের ওপর একটি কলঙ্ক হিসাবে থেকে যেত যেটা হয়ত মি. ট্রাম্প চাইছেন না। বিক্ষোভাকরীদের মিছিল করে ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা \"ঘরে ফিরে যান''। বিবিসির ঐ সংবাদাদাতা সোপল বলেন, বৃহস্পতিবারের বিবৃতর ভাষা, ভাষণ দেওয়ার ধরণ প্রমাণ করে ভেতর থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন।“আপনি যদি ভিডিওটি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন মি ট্রাম্প লেখা একটি বিবৃতি হুবহু পড়ার চেষ্টা করছেন। কেউ যেন তাকে বলে দিয়েছে যা লেখা আছে তা হুবহু পড়তে হবে। অনেকটা জিম্মিদেরকে যেভাবে বিবৃতি দেওয়ানো হয়, তেমন। ... বোঝাই যায় তিনি এমন সব শব্দ বলছেন, যেটা তিনি বলতে চাননা।“ ২০২৪ সালে ফেরার ইঙ্গিত তবে অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, মি. ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠজনেরা হয়ত একটি কৌশল হিসাবেই রণে ভঙ্গ দেওয়ার পথ নিয়েছেন। তার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে তিনি মি. ট্রাম্প বলেন, “আমার অসামান্য সমর্থকবৃন্দ আমি জানি আপনারা হতাশ, কিন্তু আমি বলতে চাই আমাদের যাত্রা সবে শুরু হলো।“ জন সোপল বলছেন, “মি. ট্রাম্প হয়ত ইঙ্গিত দিলেন রাজনীতি থেকে তিনি সরে যাচ্ছেন না। চার বছর পর নির্বাচনে তিনি আবার আসবেন।“ এমন সম্ভাবনা কথার বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে খোলাখুলি আলোচনা হচ্ছে। নিজে না হলেও মি. ট্রাম্পের পর তার পরিবারের কোনো সদস্য হয়তো ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ২০২৪ সালে সেই সম্ভাব্য উত্তরসূরি মি. ট্রাম্পের মেয়ে ইভাংকার কথা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কানাঘুষা চলছে। ক্যাপিটলে তাণ্ডবের সময় ইভাংকা ট্রাম্প হামলাকারীদের ‘দেশপ্রেমিক‘ বর্ণনা করে টুইট করেছিলেন যা কিছুক্ষণ পর তিনি মুছে ফেলেন। হেরে গেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোট পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নির্বাচনে পরাজিত কোনো প্রার্থী এত ভোট কখনই পাননি। অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, করোনাভাইরাস দুর্যোগ সৃষ্টি না হলে, তিনি হেসে-খেলে জিতে যেতেন। গতকাল জনমত জরীপ সংস্থা ইউগভের এক জরীপ বলছে, ৪৫ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার মনে করেন - বুধবার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা সঠিক ছিল। দলের মূল ভোটারদের মধ্যে তার অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তার কারণেই হয়ত রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বের বিরাট অংশ এখনও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস করছেন না। বুধবার ক্যাপিটল হিলে এমন তাণ্ডবের পরও জো বাইডেনের নির্বাচনী ফলাফল অনুমোদনের সময় কংগ্রেসের ১২০ জনেরও বেশি রিপাবলিকান সদস্য আপত্তি জানিয়েছেন। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে তারা বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত এখনকার মত রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ,অপ্রচলিত, এবং লড়াকু রাজনীতি - আর রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তার বিপুল জনপ্রিয়তা যে অচিরেই উধাও হয়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। আরও পড়তে পারেন: আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় বিশ্ব নেতাদের নিন্দার ঝড় আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? মার্কিন কংগ্রেস ভবনের ভেতরে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে?", "doc2": "For a short time visitors could only see a message that read: \"Sorry, that page doesn't exist!\" Wani ma'aikacin kamfanin ne ya rufe shafin na @realdonaldtrump, a ranarsa ta karshe ta barin aiki a kamfanin. An rufe shafin na tsawon minti 11, amma a yanzu kamfanin na Twitter yana bincike kan hakan. Shugaba Trump dai ya yi shakulatin bangaro da abin da ya farun a wani sabon sako da ya wallafa a shafin Twitter ranar Juma'a, abin da ke nuna irin tasirin da yake da shi. Karshen labarin da aka sa a Twitter, 1 A baya-bayan nan dai sakonnin da Mista Trump ke wallafawa a shafin Twitter na jawo ce-ce-ku-ce, inda yake da mabiya miliyan 41.7. Wannan al'amarin na baya-bayan nan ya jawo muhawara sosai a kan tsaron da shafin shugaban kasar ke da shi, inda ake tunanin akwai yiwuwar nan gaba a dinga yada sakonnin karya da sunan Mista Trump. Sai dai kuma hakan bai shafi shafin shugaban na gwamnati ba @POTUS. 'Ranar Karshe' A ranar Alhamis da yamma ne wadanda suka leka shafin Mista Trump na dan lokaci suka ga wani sako da ke cewa: 'A yi mana afuwa, babu wanann shafin.!\" Donald Trump has been actively using Twitter to promote his policies and attack his opponents Bayan da aka dawo da shafin dai sakon farko na Mista Trump yana magana ne a kan shirin rage haraji na jam'iyyar Republican. Kamfanin Twitter dai ya ce ba zai binciki wannan matsala ba, kuma zai dauki mataki don hana faruwarsa nan gaba. Daga baya ya ce: \"A bincikenmu mun gano cewa wani ma'aikacin kamfanin ne ya aikata hakan a ranarsa ta karshe ta barin aiki. A yanzu haka dai mun kaddamar da sahihin bincike.\" 'Wajen mayar da martani' Mr Trump ya bude shafin Twitter ne a watan Maris na shekarar 2009 kuma ya wallafa sakonni fiye da sau 36,000. Yana yawan amfani da shafin sada zumuntar don bayyana manufofinsa da kuma mayar da martani ga abokan hamayyarsa a lokacin yakin neman zaben 2016 da kuma bayan shan rantsuwar kama mulki a watan Janairun 2017. A wata hira da aka yi da shi ya taba cewa, idan wani ya fadi wani abu a kansa, to zai je shafin Twitter ya kwankwashe shi ya mayar da martani a can. Bayan da ya wallafa wani sako a Twitter a watan Satumba inda ya yi wa Koriya Ta Arewa barazanar rusata, an tursasa kamfanin Twitter ya bar sakon ba tare da goge shi ba. Kamfanin ya ce sakon na Mista Trump ya cancanci yin labari a kansa. Ko abokan Mista Trump ma ba su tsira ba wajen amfani da shafin Twitter. Kamfanin ya taba dakatar da mai ba shi shawara a lokacin yakin neman zabe Roger Stone, bayan da ya yi amfani da kalamai marasa dadi ga manema labarai."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57331290", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-57327704", "doc1": "হাঁস-মুরগী প্রতিপালনের সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ কখনও কখনও ঘটে থাকে। এই ব্যক্তি কীভাবে সংক্রমিত হলেন কর্মকর্তারা সে সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে H10N3 ধরনের বার্ড ফ্লু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে জিংশু প্রদেশের বাসিন্দা ঐ ব্যক্তির দেহে এই বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর তিনি এখন সেরে উঠছেন। বার্ড ফ্লু'র অনেকগুলো ধরন রয়েছে। হাঁস-মুরগি নিয়ে যাদের কারবার তাদের মাঝেমধ্যে এই ফ্লু হয়ে থাকে। সংক্রমণের বিস্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ভাইরাসের অন্য কোন কেস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেইজিং-এর জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, ঝেনজিয়াং শহরের ঐ বাসিন্দা গত ২৮শে এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এবং এর এক মাস পর তার দেহে H10N3-এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: এভিয়ান ফ্লুতে সংক্রমিত লক্ষ লক্ষ হাঁস-মুরগী প্রতি বছর মেরে ফেলা হয়। \"সারা বিশ্বে H10N3-এর কোন কেস নেই। হাঁস-মুরগী থেকে মানুষের মধ্যে কখনও কখনও যে শঙ্কর প্রজাতির ভাইরাস ছড়ায়, এই ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। ব্যাপক হারে এই ভাইরাসের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই কম,\" কমিশন বলছে। চীনা কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, H10N3 ভাইরাসের রোগ বিস্তারের ক্ষমতা কম। তার মানে হলো হাঁস-মুরগীর মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, \"মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এমন কোন লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।\" \"এভিয়ান ফ্লু হাঁস-মুরগীর মধ্যে ছড়ায় বলে কালেভদ্রে তা মানুষের মধ্যেও ছাড়তে পারে, এটা অবাক হওয়ার মতো কোন ঘটনা নয়। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা যে কোন সময় মহামারিতে পরিণত হতে পারে সেই ঝুঁকি রয়েছে। এটা তার কথাই মনে করিয়ে দেয়,\" স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে। এখন হাঁস-মুরগীর মধ্যে H5N8 এভিয়ান ফ্লু'র ব্যাপক প্রকোপ চলছে, এবং এর জেরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে লক্ষ লক্ষ হাঁস-মুরগী মেরে ফেলা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ায় মানুষের মধ্যে এই বিশেষ স্ট্রেইনের প্রথম কেস ধরা পড়েছে। দু'হাজার ষোল এবং ২০১৭ সালে এভিয়ান ফ্লু'র H7N9 স্ট্রেইনে সংক্রমিত হয়ে প্রায় ৩০০ লোক প্রাণ হারান। তার পর থেকে অবশ্য মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা খুবই বিরল। আরও পড়তে পারেন:", "doc2": "Ba abin mamaki ba ne idan masu aiki a gidajen kiwon kaji sun kamu da cutar murar tsuntsaye Jami'ai ba su bayar da cikakken bayani kan yadda mutumin ya kamu da nau'in na murar tsuntsaye ba amma ana ganin nau'in na H10N3 yana da wahala ya yadu daga mutum zuwa mutum. Mutumin, wanda ke zaune a lardin Jiangsu, wanda a makon jiya aka tabbatar ya kamu da nau'in na murar tsuntsaye, yanzu yana samun sauki kuma ana shirin sallamarsa daga asibiti. Akwai nau'ukan murar tsuntsaye daban-daban kuma ba sabon abu ba ne idan mutanen da ke aiki a wuraren kiwon tsuntsaye suka kamu da cutar. Bibiyar da aka yi wa mutanen da ya hadu da su ta nuna cewa babu wanda ya kamu da sabon nau'in cutar. Hukumar Lafiya ta Beijing ta bayyana ranar Talata cewa an kwantar da mutumin mazaunin birnin Zhenjiang a asibiti ranar 28 ga watan Afrilu inda aka gano yana dauke da nau'in na H10N3 wata daya bayan haka. \"Ba a samu rahoton bullar nau'in na H10N3 a jikin dan adam ba a dukkan fadin duniya. Wannan karon an samu yaduwar cutar daga dabba zuwa mutum wanda ba kasafai ake samun hakan ba, kuma babu yiwuwar za ta yadu sosai,\" a cewar shugaban Hukumar a hirarsa da jaridar Global Times. Hukumar ta kara da cewa cutar murar tsuntsayen nau'in H10N3 ba ta haifar da cutuka masu zafi a jikin dabbobi kuma da wahala ya yadu cikin gaggawa. Hukumar Lafiya ta duniya ta shaida wa kamfanin dillancin labarai na Reuters cewa \"a wannan lokaci, babu wata alama da ke nuna cewa za a samu yaduwar cutar daga mutum zuwa mutum\". A halin da ake ciki an samu barkewar cutar murar tsuntsaye nau'in H5N8 wadda ta yi sanadin kashe daruruwan dubban tsuntsaye a kasashen Turai da dama. A watan Fabrairu, Russia ta bayar da rahoton samun mutum na farko da ya kamu da wannan nau'in na H5N8. Ba kasafai ake samun mutum ya kamu da cutar murar tsuntsaye ba tun bayan barkewar nau'in H7N9 wanda ya yi ajalin mutum kusan 300 a 2016 da 2017."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49839380", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49838533", "doc1": "ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। তারা বলছে, কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে সড়কের পাশে বসে দুটো দলিত শিশু বুধবার যখন পায়খানা করছিল তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের একজনের নাম রশ্নি (১২) এবং আরেকজন অভিনাষ (১০)। ওই দুটো শিশুর পরিবার বিবিসির হিন্দি বিভাগকে জানিয়েছে যে তাদের বাড়িতে কোন টয়লেট নেই। ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। এর ফলে প্রায়শই ঝুঁকির মুখে পড়ে নারী ও শিশুর জীবন। ভারতের দলিত সম্প্রদায় হিন্দু ধর্মানুসারে নিম্ন বর্ণের একটি গোষ্ঠী। তাদের সুরক্ষার জন্যে বহু আইন করার পরেও তারা এখনও নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ চান্ডেল বিবিসিকে বলেছেন, \"দুটো শিশুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।\" \"যে দু'জনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে,\" বলেন তিনি। বুধবার সকালে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ রামেশ্বর ইয়াদভ এবং হাকিম ইয়াদভ নামের উচ্চ বর্ণের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। রশ্নি ও অভিনাষ আত্মীয়। অভিনাষের পিতামাতা রশ্নিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার পর থেকে সে রশ্নিদের বাড়িতেই বসবাস করছিল। অভিনাষের পিতা মনোজ বলছেন, তিনি একজন দিনমজুর। বাড়িতে টয়লেট বানানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। রাতের বেলায় নারীরা যখন টয়লেট করতে বাড়ির বাইরে যায়, প্রায়শই তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। 'টয়লেট নিয়ে' বিড়ম্বনায় নরেন্দ্র মোদী ও বিল গেটস পরিবেশ রক্ষার জন্য 'একদিন পর পর মলত্যাগ করুন' ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র ভারতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে বাড়িতে টয়লেট বসাতে পারে সেজন্যে সরকার যে ভর্তুকি দিয়ে আসছিলো তার সুবিধাও মনোজ নিতে পারেন নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতে প্রকাশ্যে মলত্যাগ বন্ধ করার জন্যে সারা দেশে টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে সারা দেশে 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে এই প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এবছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে তার দেশকে 'খোলা জায়গায় মলত্যাগ' থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত সরকার মনোজের গ্রাম ভাবখেদিকে ইতোমধ্যেই 'প্রকাশ্যে মলত্যাগের' মতো ঘটনা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে সম্প্রতি টয়লেট নির্মাণ বেড়ে গেলেও পানি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে বহু মানুষ এখনও খোলা জায়গাতেই মলত্যাগ করছে। এবিষয়ে মানুষের আচরণেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবে অনেকেই মি. মোদির এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন। এজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সম্প্রতি তাকে সম্মাননাও দিয়েছে। ফাউন্ডেশনটি বলছে, \"স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিশ্বের বাকি দরিদ্র দেশগুলোর জন্যে একটি উদাহরণ হতে পারে।\" আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসন প্রচেষ্টার পেছনে কী? প্রকাশ্যে মলত্যাগ করায় শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ক্ষুদে তারকারা জলবায়ু পরিবর্তন: জাতিসংঘের 'রেড-অ্যালার্ট' টয়লেট বৃত্তান্ত: কমোডে কীভাবে বসবেন?", "doc2": "Miliyoyin mutane kan yi bahaya a fili a Indiya 'Yan sandan sun ce an kai wa Roshni mai shekara 12 da Avinash mai shekara 10 hari ne a ranar Laraba yayin da suke bahaya kusa da titin wani kauye. Iyalan yaran sun shaida wa BBC Hindi cewa ba su da bandaki a gida. Miliyoyin 'yan Indiya da ke cikin talauci na yin bahaya ne a waje, wanda hakan ke sa mata da yara cikin hadari. \"An yi wa yaran duka ne da sanduna har suka mutu,\" kamar yadda wani babban dan sanda Rajesh Chandel ya shaida wa BBC Hindu. Ya kara da cewa: \"Tuni muka shigar da karar mutanen biyu da laifin kisan kai. An fara tuhumarsu.\" Da safiyar ranar Laraba ne 'yan sanda suka kama mutanen biyu Rameshwar Yadav da Hakim Yadav. Roshni da Avinash kuwa 'ya'yan 'yan uwa suke, amma a gidansu Avinash ake rikon Roshni. Mahaifin Avinash, Manoj, ya ce a matsayinsa na lebura ba shi da halin da zai iya gina bandaki a gidansa. Ya kuma ce ya kasa samun tallafin da gwamnati ke bai wa marasa karfi don gina bandaki. Wani shiri na kokarin tsaftace Indiya da ake kira da Swachh Bharat Mission ko kuma Clean India na son kawo karshen bahaya da ake yi a kan titi ta hanyar samar da bandakuna a fadin kasar. A lokacin da Firai Ministar Narendra Modi ya kaddamar da shirin a shekarar 2014, ya yi alkawarin mayar da Indiya wacce za a daina bahaya a waje nan da 2 ga watan Oktonan 2019. Mata kan fita don yin lalurinsu a waje da daddare kawai Bincike ya nuna cewa ana samun karuwar gina bandakuna, sai dai rashin ruwa da rashin kula da bandukunan da rashin sauya halayya daga mutane suna kawo cikas da kuma ci gaba da yin bahayar a waje."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53060775", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53062010", "doc1": "পার্বত্য অঞ্চলে চীনা সৈন্যদ্রে প্রহরা এর আগে জানা গিয়েছিল তিন জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। দু'পক্ষ থেকেই মধ্যে হতাহতের দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দিনের আরো পরের দিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে আহত বেশ ক'জন সেনা প্রাণত্যাগ করেছে। চীনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোন তথ্য জানা যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ জন ভারতীয় সৈন্য প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে ঘটা ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়, এবং পরে মৃত্যুবরণ করে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, ভারতীয় সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়, কিন্তু সামরিক বাহিনী এখবর নিশ্চিত করেনি। 'অস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি' গালওয়ান ভ্যালি, ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষের অকুস্থল। তবে দু পক্ষই বলছে, এই সংঘর্ষে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যহার করা হয়নি। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই বলছে, ভারতীয়দের পাওয়া তথ্যে চীনের দিকে ৪৩ জন হতাহত হবার খবর জানা গেছে। ভারতের প্রথম বিবৃতিতে চীনের দিকেও হতাহত হবার কথা বলা হয়েছিল তবে চীন এখন পর্যন্ত এরকম কিছু নিশ্চিত করেনি। এএনআই বলছে, তাদের কিছু সূত্র জানিয়েছে যে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অভিযোগের আঙ্গুল পরষ্পরের দিকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে, গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) মেনে চলার জন্য গত সপ্তাহে দু‌'পক্ষের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছিল চীন তা ভঙ্গ করেছে। ভারতীয় বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানাচ্ছে, চীনা পক্ষ একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে এক সহিংস সংঘাত ঘটে। চীন তাদের দিক থেকে কেউ হতাহত হবার কথা না বললেও ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত পার হয়ে চীনা অংশে ঢুকে পড়ার অভিযোগ আনে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ভারত সোমবার দু'দফায় সীমান্ত লংঘন করে, উস্কানি দেয় এবং চীনের সৈন্যদের আক্রমণ করে। এর ফলে দুদেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। দু'দেশের সমারিক বাহিনীর মধ্যে সর্বশেষ প্রাণঘাতী সংঘাত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সে সময় অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তের খুব কাছে চীনা বাহিনীর চালানো এক হামলায় ভারতের আসাম রাইফেলসের চারজন জওয়ান নিহত হয়। মঙ্গলবার আগের দিকে একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও দু'জন সেনা জওয়ান নিহত হন বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি টুইট করেছে, বেইজিং অভিযোগ করেছে যে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে চীনা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, চীনের অভিযোগ সোমবার ভারত দুই দফা সীমান্ত অতিক্রম করে \"চীনের সৈন্যদের উস্কানি দিয়েছে এবং তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলস্বরুপ এই প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটেছে।\" সম্পর্কিত খবর: ভারতকে নিয়ে কেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে চীন ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল? এখন ঘটনাস্থলে (গালওয়ান ভ্যালি) পারমানবিক শক্তিধর দুটি দেশের উর্ধতন সেনা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় আলোচনা চালাচ্ছেন বলেও জানানো হয়েছে। যার অর্থ, গত রাতের সংঘর্ষের পর এখন আলোচনার মাধ্যমে একটা মিটমাটের চেষ্টা চলছে। গত প্রায় দেড় মাস ধরেই লাদাখের ভারত ও চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) দু‌'পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে, দুই দেশের সেনাবাহিনীও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কোনও কোনও সামরিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, একটা পর্যায়ে চীনা সৈন্যরা এলএসি অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখন্ডের ভেতর প্রায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার ঢুকে পড়েছিল - যদিও আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে ভারত এ ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। আরো পড়তে পারেন: ‘লাদাখে প্রায় ষাট কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীন, তবু মোদী কেন চুপ?’ চীনা সৈন্যরা ঢুকে পড়েছে, বলার পরও অস্বীকার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক বৈঠকে যা ঘটল লাদাখে চীন ও ভারতের সৈন্যরা মুখোমুখি, তীব্র উত্তেজনা ১৯৬২ সালে চীন এবং ভারতের মধ্যে একমাত্র যুদ্ধটি হয়েছিল, আর ভারত তাতে পরাজিত হয়েছিল। ভারতের অভিযোগ, চীন দেশটির ৩৮,০০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। গত তিন দশকে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড এবং সীমান্ত সংকট নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। গত মে মাসে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিকিম সীমান্তে চীনের বাড়তি সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সরাসরি সংঘর্ষেও গড়ায়। ২০১৭ সালে, বিতর্কিত মালভূমিতে চীন তার সীমান্ত সড়ক বাড়ানোর চেষ্টা করলে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চীন এবং ভারত দুটি দেশই সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর, এর আগে বেশ কয়েকবারই তারা সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের মধ্যকার যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি সেটিও অত্যন্ত দুর্বল। দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি নদী, হ্রদ এবং শৈলপ্রবাহ প্রবাহিত হয়েছে, যার মানে হচ্ছে সীমানা যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরো সংঘর্ষের উস্কানি হিসেবে কাজ করবে। সীমান্তে উত্তেজনার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। ভারত সম্প্রতি লাদাখের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় একটি নতুন রাস্তা বানিয়েছে, যাতে কোন সংঘর্ষ হলে ওই রাস্তা দিয়ে দিল্লি সহজেই সীমান্ত এলাকায় সৈন্য এবং মালামাল পাঠাতে পারবে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন ওই এলাকার অবকাঠামো যে ভারত নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাইছে, তার ফলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে চীন।", "doc2": "Rundunar sojan India ta ce manyan jami'an sojin kasashen biyu suna \"ganawa domin yayyafa ruwa kan wutar\", tana mai cewa dukkan bangarorin sun yi asara sakamakon arangamar. China bata bayyana cewa an samu asarar rayuka daga bangarenta ba, sai dai ta zargi India da tsallaka iyaka sannan ta kai hari kan sojojinta. Kakakin ma'iakatar wajen kasar ya yi kira ga India da kada ta yi gaban kanta wajen daukar mataki ko kuma ta tayar da hargitsi. An ambato mai magana da yawun na China, Zhao Lijian, yana cewa sau biyu India tana tsallaka iyaka ranar Litinin, \"tana tsokanar fada da kuma kai wa jami'an China hari, lamarin da ya haddasa yin fito-na-fito tsakanin dakarun kasashen biyu da ke kan iyaka\". Lamarin na faruwa ne yayin da ake tsaka da tayar da jijiyoyin wuya tsakanin kasashen biyu masu makaman nukiliya, wadanda a kwanakin baya suka yi cacar-baka a kan iyakokinsu ko da yake bata kai ga bude wuta ba. India ta zargi China da aika dubban dakarunta yankin Ladakh inda ta ce China ta mamaye murabba'in kilomita 38,000 na yankinta. Sau da dama ana ba-ta-kashi tsakanin bangarorin biyu a watan jiya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50652535", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50643283", "doc1": "সম্প্রতি কয়েক মাসে নেটোভূক্ত সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোই এই সংস্থাটির সমালোচনা করেছে সত্তর বছর পরে এসে, একটি পরিবর্তিত বিশ্ব যেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের সুরক্ষার অগ্রাধিকার রয়েছে সেখানে কি এটি এখনো প্রাসঙ্গিক? সম্প্রতি নেটোর ভেতরকার পরিস্থিতিই আর আগের মতো নেই। খোদ সংস্থাটি কিংবা এর সদস্যভূক্ত অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ২৯ সদস্যের এই জোট মঙ্গল এবং বুধবার লন্ডনে বৈঠকে বসছে। যদিও জোটের সদস্যরা একে ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে সফল সামরিক জোট হিসেবেই উল্লেখ করে থাকেন, তবুও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নেটো কিভাবে গঠিত হয়েছিল? স্নায়ু যুদ্ধের শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯৪৯ সালে নেটো গঠিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ইউরোপের ১০টি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে গঠন করে নর্থ আটল্যান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা নেটো। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিরোধ করা। যুদ্ধের অন্যতম বিজয়ী হওয়ায়, পূর্ব ইউরোপ জুড়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ সেনা রয়ে যায়। পূর্ব জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর আধিপত্য পায় মস্কো। যুদ্ধের পর জার্মানির রাজধানী বার্লিন দখলে নেয় বিজয়ীরা এবং ১৯৪৮ সালের মধ্যভাগে, সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী জোসেফ স্ট্যালিন পশ্চিম বার্লিনের বিরুদ্ধে অবরোধ শুরু করেন। সে সময়ে ওই এলাকা ছিল তৎকালীন মিত্রশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পুরো এলাকাটি অবস্থিত ছিল সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত পূর্ব জার্মানিতে। শহরটির সাথে বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে সরাসরি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছিল। তবে এই সংকট সোভিয়েত শক্তিকে মোকাবেলায় একটি জোট গঠনে ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো ১১টি দেশ(যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, নরওয়ে, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, আইসল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গ) মিলে একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট গঠন করে। ১৯৫২ সালে তুরস্ক এবং গ্রিসকে সদস্য করার মাধ্যমে জোটটি আরো প্রসার লাভ করে। ১৯৫৫ সালে যুক্ত হয় পশ্চিম জার্মানি। ১৯৯৯ সাল থেকে এটি সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় জাতি রাষ্ট্রগুলোকেও সদস্য করে এবং জোটভুক্ত মোট দেশের সংখ্যা হয় ২৯। সবশেষ ২০১৭ সালে সদস্য হয় মন্টিনিগ্রো। নেটোর উদ্দেশ্য কী? সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিরোধ করাই ছিল নেটোর মূল উদ্দেশ্য দাপ্তরিকভাবে নেটো গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে \"উত্তর আটল্যান্টিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও কল্যাণ\" নিশ্চিত করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর 'স্বাধীনতা, অভিন্ন ঐতিহ্য এবং সভ্যতার' রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা। চুক্তি অনুযায়ী, নেটো ভুক্ত যে কোনো দেশের উপর সশস্ত্র হামলা হলে সেটি জোটভুক্ত সব দেশের উপর হামলা বলেই গণ্য হবে এবং সব দেশ একে অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসবে। বাস্তব ক্ষেত্রে, জোটটি এটা নিশ্চিত করে যে, \"ইউরোপিয় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা অবিচ্ছেদ্যভাবে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর নিরাপত্তার সাথে জড়িত।\" সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সাম্যবাদকে জোটটি তাদের বড় হুমকি মনে করতো। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেটোর সীমান্ত মস্কোর দিকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। এছাড়া ১৯৮৯ সালে পূর্ব ইউরোপে বিপ্লব এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে জোটটি সাবেক সোভিয়েত স্যাটেলাইট জাতিকে নিজেদের সদস্য হিসেবেই গণ্য করে। যেহেতু এখন ইউএসএসআর নেই, তাহলে নেটো এখনো টিকে আছে কেন? এখনো আফগানিস্তানে নেটো নেতৃত্বাধীন ১৭ হাজার সেনা রয়েছে স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই- তার মানে এই নয় যে পশ্চিমারা মস্কোকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করে দেবে। \"কেউ-ই হঠাৎ করে বিশ্বাস করেনি যে কমিউনিজমের অনুপস্থিতি একটি দুঃশ্চিন্তামুক্ত পরিস্থিতি, একটি স্বর্ণযুগের সূচনা করেছে যেখানে মিত্র শক্তিরা কোন ধরণের সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াই থাকবে, বা সুরক্ষা ছাড়াই বসবাস করতে পারবে,\" ২০০৩ সালে দেয়া এক ভাষণে জনপ্রিয় এই উক্তিটি করেছিলেন নেটোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেমি শেয়া। বাস্তবে রাশিয়া সামরিকভাবে শক্তিশালী রয়ে যায়। আর যুগোস্লাভিয়ার পতনের পর ১৯৯০ সালে খোদ ইউরোপেই যুদ্ধ দেখা দেয়। এ ধরণের পরিস্থিতির কারণে নেটোর ভূমিকা পরিবর্তিত হয়ে এটি হস্তক্ষেপকারী জোটে পরিণত হয়েছে। যার উদাহরণ মেলে বসনিয়া এবং কসোভোয় সার্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা, নৌপথে প্রতিরোধ এবং শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে। ২০০১ সালে নেটো প্রথম ইউরোপের বাইরে তাদের অভিযান চালায়। নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নির্দেশনায় যৌথ বাহিনীর কৌশলগত নেতৃত্ব নেয় নেটো। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, উপদেশ এবং সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এখনো পর্যন্ত দেশটিতে নেটোর নেতৃত্বে ১৭ হাজার সেনা রয়েছে। নেটোভুক্ত দেশগুলো কেন পরস্পর বিতর্কে জড়াচ্ছে? প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই নেটো নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প নেটোর কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থি ছিলেন, তখন রিপাবলিকানরা নেটোকে \"বিলুপ্ত\" ঘোষণা করেছিল এবং তিনি বলেছিলেন যে, জোটটি 'ভেঙ্গে গেলেও' সমস্যা হবে না। ট্রাম্প আভাসও দিয়েছিলেন যে, হামলার কবলে পড়া মিত্র দেশগুলোকে রক্ষার অঙ্গীকার নাও মানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-এমনকি চুক্তি থেকে বের হয়েও যেতে পারে। তিনি অভিযোগও তুলেছিলেন যে, নেটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি অর্থ প্রতিরক্ষায় খরচ করে ওয়াশিংটন। \"অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র নেটোর পেছনে বেশি ব্যয় করছে। এটা ঠিক নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়,' ২০১৮ সালে এক টুইটে একথা বলেন তিনি। অবশ্য তার যৌক্তিক কারণও ছিল- নেটোভুক্ত সবগুলো দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একাই জোটটির ৭০ ভাগ ব্যয়ভার বহন করে(২০১৮ সালের হিসাব) এবং যদিও ২০১৪ সালে নেটোভুক্ত দেশগুলো একমত হয় যে, ২০২৪ সাল নাগাদ তারা তাদের জিডিপির ২% প্রতিরক্ষায় ব্যয় করবে, খুব কম সংখ্যক দেশই সেটা অর্জন করেছিল। তুরস্কের বিষয়টি কী? সিরিয়ায় তুরস্কের হস্তক্ষেপ নেটোভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে তুরস্ক ১৯৫১ সাল থেকে নেটো সদস্য। অক্টোবরে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জোটের মধ্যে একটি ফাটল তৈরি করে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়- ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের ২২টিই নেটোর সদস্য। এই তালিকায় ছিল ফ্রান্স, স্পেন এবং যুক্তরাজ্য। এই দেশগুলো তুরস্কে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করতো। কিন্তু মস্কোর সাথে আঙ্কারার ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি করছিল। ওয়াশিংটনের আপত্তি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সরকার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি সই করে। ২০১৩ সাল থেকেই তুরস্কের কাছে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির চেষ্টা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এরদোয়ান প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব আনার পর তা আর এগোতে পারেনি। প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হলে তুরস্ক নিজেই নিজেদের ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হতো। বারাক ওবামার প্রশাসনও এটি নাকচ করেছিল। এ কারণেই আঙ্কারা মস্কোর সাথে যোগাযোগ করে এবং তুরস্কের সরকার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয় করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে আধুনিক ফাইটার জেট এফ-৩৫ উৎপাদনের যৌথ কর্মসূচী থেকে বাতিল করে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায় যে, এস-৪০০ চুক্তি এফ-৩৫ এর প্রযুক্তি সম্পর্কিত স্পর্শকাতর বিষয় রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে। আরো বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, তুরস্কের ভূখণ্ডের মধ্যেই নেটোর ঘাঁটি রয়েছে এবং দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সিরিয়ার কাছে আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইনসারলিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়া তুরস্ক হচ্ছে নেটোভুক্ত পাঁচটি ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি যাদের ভূখণ্ডে মার্কিন পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। আর ফ্রান্স? নেটোর কড়া সমালোচনার কারণে মেরকেলের সাথে মতবিরোধে মুখে পড়েছেন ম্যাক্রোর ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিনকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন যে নেটো হচ্ছে \"অকার্যকর\" একটি জোট এবং নেটোকে সতর্ক না করেই সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে এই জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি। তিনি আরো বলেন যে, হামলার সময় নেটোভুক্ত দেশগুলো পরস্পরের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে কিনা সে বিষয়েও সন্দিহান তিনি। \"যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের দিক থেকে দেখতে গেলে নেটোর বাস্তবতা আসলে কি সেটি আমাদের পুনর্বিবেচনা করা উচিত,\" ম্যাক্রো বলেন। \"সামরিক সামর্থ্য এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে ইউরোপকে অবশ্যই স্বায়ত্তশাসিত হতে হবে।\" আরো পড়ুন: তেহরান পরমাণু চুক্তি: নতুন আলোচনার সম্ভাবনা বিচার বিভাগ আসলে কতোটা 'আলাদা' হয়েছে 'বস্তারে আদিবাসীদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছিল' ম্যাক্রোর এই সাক্ষাৎকারের পর আলোড়ন তৈরি হয় এবং এটি তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেলের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়। \"বার বার আমাকে আপনার কাজের জন্য ভর্তুকি দিতে হয় যাতে করে আমরা একসাথে বসে আলাপ-আলোচনা করতে পারি,\" নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফরাসি নেতাকে একথা বলেন মেরকেল। ব্রেক্সিট কি সমস্যা তৈরি করতে পারে? ব্রেক্সিট ইউরোপের এর ২৮ টি দেশের মধ্যে পারস্পরিক মিত্রতায় ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে লন্ডনে নেটোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলাফল অজানা। যুক্তরাজ্য এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করতে পারে নি-যাকে ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে। বিদ্বেষপূর্ণ ব্রেক্সিট জোটের মধ্যে একটি মতবিরোধের কারণ হতে পারে। কারণ ইউরোপীয় ২৮ দেশের ২২টিই এই জোটের সদস্য। বর্তমানে নেটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষায় যুক্তরাজ্যের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে। তাহলে নেটোর ভবিষ্যত কী হবে? নেটোর উদ্বেগের একটি বড় বিষয় ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভাল উত্তর রয়েছে রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে। \"যত দিন রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব থাকবে ততদিন নেটো দরকার হবে একটি সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরোধের জন্য,\" চলতি বছরের শুরুর দিকে এনপিআর রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছিলেন নেটোর সাবেক উপ-মহাসচিব আলেক্সান্ডার ভার্শবো। \"তাই আমার মনে হয়, আরো অন্তত কয়েক দশক এমনকি আরো ৭০ বছর ধরেও নেটো টিকে থাকতে পারে।\" সেই সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনার পরও মার্কিন কংগ্রেস গত জানুয়ারিতে দেশটিকে নেটো থেকে বেরিয়ে আসা ঠেকাতে এক প্রস্তাব পাসের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান-সবাই এই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে, এর পক্ষে পরে ৩৫৭ ভোট আর বিপক্ষে মাত্র ২২টি ভোট পরে। নেটোর ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়তো এর অনেক সদস্যের আশার তুলনায় কিছুটা ফিকে হবে কিন্তু এটাই জোটটির শেষ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়।", "doc2": "Watannin da suka gabata wasu daga kasashen da ke cikin kawancen na sukar lamirin Nato Shekara 70 bayan nan, a iya cewa Nato ta yi tasiri da kawo sauyi musamman ta fuskar tsaro? Kasashen da ke cikin kawancen sun fara samun sabani da rabuwar kawuna ta yadda wasu mambobi ke sukar lamirin yadda lamura ke tafiya a ciki. Wadannan kasashe su ne Amurka da Turkiyya da Faransa. A ranakun Talata da Laraba mambobin Nato 29 suna wata ganawa a birnin Landan, duk da cewa masu fafutuka na cewa wannan shi ne kawancen soji mai nagarta da aka taba samu a tarihi. Ana ci gaba da dasa ayar tambaya kan makomar kungiyar a nan gaba. Ta yaya aka kafa Nato? A shekarar 1949 aka kafa kungiyar Nato a farkon fara yakin cacar-baki Kasashe goma ne suka kafa kungiyar Nato, yayin da Amurka da Canada suka shiga cikinsu bayan yakin duniya na Biyu. Babban aikin da aka kafa Nato a kai shi ne don ta yi maganin Tarayyar Soviet. Bayan kasancewarta daya daga cikin wadanda suka yi nasara a yakin, dakarun Soviet sun ci gaba da zama a gabashin Turai, yayin da Rasha ta yi nasara a kan wasu kasashen, ciki har da gabashin Jamus. Wadanda suka yi nasara a yakin sun mamaye birnin Berlin na Jamus. A tsakiyar shekarun 1948 firimiyan Soviet Joseph Stalin ya fara hana zuwa yammacin Berlin, wadda a lokacin take karkashin ikon kawancen Amurka da Birtaniya da Faransa, yayin da Soviet ke iko da yammacin Jamus. A shekarar 1949 kasashen Amurka da Saudiyya da Fransa da Italiya da Canada da Norway da Belgium da Denmark da Netherlands da Portugal da Iceland da kuma Luxembourg suka shiga cikin rundunar tsaro ta Nato. Sannu a hankali kungiyar ta kara fadada, inda kasashen Turkiyya da Girka suka shiga ciki a shekarar 1952. Ita kuwa yammacin Jamus ta shiga ciki a shekarar 1955. Tun daga shekarar 1999, kungiyar tsaro ta Nato ta samu karuwar kasashe da suka zama mambobinta - abin da ya kawo karuwar mambobin kungiyar zuwa 29. Kasar Montenegro ita ce kasa ta karshe da ta shiga kawancen a shekarar 2017. Mene ne amfanin Nato? Babban aikin kungiyar tsaro ta Nato shi ne kare Tarayar Soviet Aikin Nato ko manufarta a hukumance shi ne ''kare 'yanci da al'adun da kuma tabbatar da zaman lafiya da dorewar yankin arewacin Atlantic da kasashen da ke cikin kawancen''. Yarjejeniyar da kasashen suka kulla ita ce duk wani hari da aka kai wa daya daga cikinsu, to ya shafi dukkan mambobi, kuma za su kai wa wannan kasa dauki. A zahiri, tabbatar da tsaron kasashe mambobi da ke Turai ya ta'allaka ne ga na kasashe mambobi da ke arewacin Amurka. A baya kungiyar na kallon Tarayyar Soviet da Kwamunisanci a matsayin babbar barazana ga tsaron kasashen. Amma tun bayan samar da kungiyar, iyakokin kasashen Nato sun matsa kusa da Rasha da nisan kilomita 1000. Yanzu kuma kungiyar tana kallon tsohuwar Tarayyar Soviet a matsayin mamba tun bayan juyin juya halin shekarar 1989 a gabashin Turai da kuma kawo karshen Tarayyar Soviet din. Idan babu USSR, zaman me Nato ke yi? Har yanzu akwai sojoji 17,000 a Afghanistan karkashin umarnin Nato Bayan kawo karshen yakin cacar baki, Tarayyar Soviet ba ta nufin kasashen yamma su daina damuwa da Rasha. ''Babu wanda ya amince bacewar Kwamunisanci zai samar da wata matsala ta 'yan Nirvana, wani lokaci da kawancen zai kasance ba tare da rundutsar soji ba, ko zama ba tare da kariya ba,'' in ji wani babban jami'in Nato Jamie shea a shekarar 2003. Haka kuma sojojin Rasha sun ci gaba da samun karfi sakamakon faduwar Yugoslavia, abin da ya sake haddasa dawowar yaki a Turai a shekarun 1990. Yawaitar tashe-tashen hankula ya sanya Nato zama kungiyar da ke shiga tsakani akai-akai. Ayyukan sojinta sun hada da kai haren-hare a Serbia da Bosnia da Kosovo da kuma ayyukan wanzar da zaman lafiya a kasashen da ke fuskantar yaki. A karon farko a shekarar 2001 Nato ta fara ayyukanta a wajen Turai, inda ta fara daukar matakin shiga kawancen dakarun da aka girke a kasar Afghanistan bayan harin 11 ga watan Satumba. Kimanin sojojin Nato 17,000 sun ci gaba da zama a kasar a matsayin masu aikin wanzar da zaman lafiya da bai wa dakarun Afghanistan shawara da taimako na musamman. Me ya sa mambobin Nato ke musayar yawu? Shugaba Trump na Amurka ya sha jifar kawancen Nato da bakaken maganganu Shugaban Amurka Donald Trump ya dade yana sukar lamirin Nato. Ko a shekarar 2016, lokacin da yake takarar shugaban kasa, jam'iyyar Republican ta ayyana Nato a matsayin \"maras amfani\" tare da cewa Nato ka iya tabuka wani abu idan kungiyar ta wargaje. Trump ya kara da cewa idan Amurka ta ga dama ba za ta bi dokokin da ke cikinta ba, musamman batun kare kasashe mambobi, za ta iya ficewa ma daga yarjejeniyar baki daya. Ya kuma yi korafin Amurka na kashe makudan kudade dan kare kasashe mambobin Nato. Ya taba wallafawa a shafinsa na Twitter a watan Satumbar 2018 cewa ''Amurka na kashe kudi kan tsaron Nato fiye da sauran mambobin kawancen. Wannan bai dace ba, ba kuma za a amince da shi ba\". Watakil yana da hujja, saboda Amurka ce ke bayar da kusan kashi 70 na kudin da ake tsare kasashe mambobi, kamar yadda kididdigar shekarar 2018 ta nuna. Sannan a shekarar 2014, mamabobin Nato sun amince su kara kudaden da ake kashewa na tsaro da kashi biyu daga nan zuwa 2024. Sai dai kalilan daga cikinsu ne suka fara aiwatarwa. Me Turkiyya ke ciki? Shigar Turkiyya yakin da ake a Syria ya fusata mambobin Nato Turkiyya ta zama mambar Nato a shekarar 1951. Amma a yanzu ta janyo rarrabuwar kawuna tsakanin mambobi kan katsalandan da ta yi a yakin da ake yi a Syria, ta hanyar kai hari a kan Kurdawa na kungiyar YPG da take kallo a matsayin 'yan ta'adda. Tuni kungiyar Tarayyar Turai ta dakatar da saida wa Turkiyya makamai a matsayin martani kan harin da ta fara kai wa Kurdawan a watan Oktoba. Sannan kasashe 22 cikin 28 su ma sun dauki mataki. Cikinsu akwai Faransa da Sifaniya da Birtaniya wadanda su ne manyan wadanda ke saidawa Turkiyya makamai. Haka kuma babban kawancen soji da ke kara danko tsakanin Turkiyya da Rasha ya kara janyo karuwar baraka tsakaninta da Nato. Gwammnatin Shugaba Recep Tayyip Erdogan ta rattaba hannu kan wani kwantiragi tsakaninta da Rasha da za ta samar mata da makamai masu linzami samfurin S-400, duk da cewa Amurka ta nuna bata amince da cinikin ba. Tun shekarar 2013 Amurka ke kokarin saida wa Turkiyya jiragen yaki, amma cinikin bai kaya ba, saboda Erdogan ya bukaci a yi musayar fasaha da za ta bai wa Turkiyya damar bunkasa tata fasahar. Gwamnatin tsohon Shugaba Barack Obama ta yi watsi da bukatar ta Erdogan. A lokacin ne Turkiyya ta tuntubi Rasha domin sayen makami mai linzamin, kuma tuni cinikin ya dauko hanyar kayawa. Daga wannan lokacin ne Amurka ta kori Turkiyya daga aikin hadin gwiwar samar da jiragen yaki samfurin F-35, saboda fargabar yarjejeniyar sayar da makamin S-400 ka iya bai wa Rasha damar samun wasu bayanan sirri kan jiragen yaki na F-35. Me Faransa ke ciki? Sukar da Macron ke yi wa kungiyar Nato ce ta bambanta su da Merkel Shugaban Faransa Emmanuel Macron ya shaida wa mujallar tattalin arziki cewa kungiyar Nato ba abin da ta ke yi. Ya kuma nuna damuwa kan yadda Amurka ke yi wa al'amuran kungiyar rikon sakainar kashi, da kuma yadda Amurkar ta janye dakarunta daga Syria ba tare da shaida wa Nato ba. Ya kara da cewa ba shi da tabbacin ko mambobin Nato za su iya kare juna idan bukatar hakan ta taso. Wannan hira da aka yi da Macron ta janyo zazzafar muhawara a kasashe, ciki har da aminiyarsa shugabar gwamnatin Jamus Angela Merkel. Jaridar New York Times ta Amurka ta wallafa gargadin da Misis Markel ta yi wa Mista Macron, cewa ''Akai-akai ina ta kokarin dinke barakar da kake haddasawa, saboda nan gaba kadan mu zauna domin tattaunawa tare da kai\". Shin ficewar Birtaniya daga Tarayyar Turai zata kawo matsala? Ana tsoron ficewar Birtaniya daga Tarayyar Turai ta janyo rabuwar kawuna tsakanin mambobin da 22 daga cikin 28 na Tarayyar Turai ne Kungiyar Nato za ta yi taronta a birnin London, mako guda gabannin babban zaben kasar Birtaniya wanda ba'a san abin da zai haifar ba. Har yanzu Birtaniya bata yanke shawara kan yadda ficewarta daga Tarayyar Turai za ta kasance ba. Ana fargabar ficewar Birtaniya daga Tarayyar Turai ka iya janyo matsala, kasancewar kasa 22 daga cikin Nato sun fito ne daga Turai. A yanzu dai Amurka ce kadai ke kashe yawancin kudin da ake kare kasashe mambobin kungiyar. Me zai faru da Nato nan gaba? Nato ta na nuna damuwa kan shugaba Vladimir Putin na Rasha Kasashen Nato ne suke da amsar bayarwa kan makomar kawancen nan gaba. Tsohon mataimakin sakatare janar na kungiyar Nato Alexander Vershbows, ya ce matukar ana cigaba da fuskantar tsagerancin Rasha, to kuwa ana bukatar kungiyar Nato, saboda aikinta ya ta'allaka ne kan tsaron kasashe mambobi. Ya kara da cewa, ''Ina ganin muna bukatar kungiyar Nato ta kara wasu shekara 70 nan gaba.'' Bikin cika shekara 70 da kafuwar Nato ba zai yi armashi, a dai-dai lokacin da kawancen kasashen ke zaman tankiya ga junansu. Sai dai suna fatan ganin dorewar kawancen don tabbatar da zaman lafiya a kasashensu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51747824", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-52036592", "doc1": "করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছেই। মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় সে বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে সাধারণ কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এসব সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ সতর্কতাগুলো কী? সেগুলো তুলে ধরা হলো। ১. গণপরিবহন গণপরিবহন এড়িয়ে চলা কিংবা সতর্কতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোন ধরণের পরিবহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। সেজন্য যে কোন পরিবহনে চলাফেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে নেমে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ২. কর্মক্ষেত্র অফিসে একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। যে কোন জায়গায় করোনাভাইরাস কয়েক ঘন্টা এমনকি কয়েকদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস পরিষ্কার করে নিন। ৩. জনসমাগমস্থল যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলা কিংবা বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে খেলাধুলার স্থান, সিনেমা হল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থানও রয়েছে। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে জুমার নামাজের সময় বাড়ি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ওমরাহ বন্ধ করেছে। ৪. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রাহকরা যায় তখন অনেকেই একটি কলম ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি সে কলম ব্যবহার করে তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেজন্য নিজের কলম আলাদা করে রাখতে পারেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। এছাড়া টাকা উত্তোলনের জন্য যে এটিএম বুথ ব্যবহার করা হয়, সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। কারণ এটিএম বুথের বাটন অনেকে ব্যবহার করে। ৫. লিফট ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরেকটি জায়গা হতে পারে বাড়ি কিংবা অফিসের লিফট। লিফট ব্যবহারের সময় নির্ধারিত ফ্লোরে যাবার জন্য লিফটের বাটন অনেকে ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন অফিস ভবনে প্রতিদিন শত-শত মানুষ লিফট ব্যবহার করছেন। এদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকেন এবং সে লিফটের বাটনে অন্যদের আঙ্গুল গেলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা, ব্যাংক নোট এড়িয়ে স্পর্শবিহীন মাধ্যম বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা বা লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ৬. টাকা-পয়সা ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের একদল গবেষক গত বছরের অগাস্ট মাসে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশি কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রায় এমন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন, যা সাধারণত মল-মূত্রের মধ্যে থাকে। গতমাসে ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে টাকা বা ব্যাংক নোট জীবাণুমুক্ত করার একটি উদ্যোগ দেখা যায় চীনে। দেশটিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সেখানে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে বাজার থেকে ব্যাংক নোট সরিয়ে নিয়ে তা আবার জীবাণুমুক্ত করে বাজারে ছাড়ে দেশটি। ৭. শুভেচ্ছা বিনিময় করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। আপনি যে ব্যক্তির সাথে কোলাকুলি এবং করমর্দন করছেন, তিনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে সেটি অন্যের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এজন্য করমর্দন এবং কোলাকুলির না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবকিছুর মূল কথা হচ্ছে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাত না ধুয়ে নিজের মুখমণ্ডল স্পর্শ করবেন না। এটি হলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিয়মিত ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।", "doc2": "Masana lafiya sun bayyana cewa har yanzu cutar ba ta da wani riga-kafi ko kuma sannanen magani da za a iya amfani da shi domin kare kai daga annobar. Manyan kasashen duniya irin su Amurka da China tuni suka dukufa wajen nemo maganin wannan annoba sakamakon su ma ba su tsira daga wannan cuta ba. Kasar Italiya ita ce kasar da cutar ta fi yi wa katutu sakamakon yadda jama'ar kasar ke mutuwa inda aka taba samun sama da mutum 700 sun mutu a rana guda. Kasashe da dama ciki har da na nahiyar Afirka sun tashi tsaye wajen daukar matakai na kariya domin kare kansu daga wannan annoba ganin yadda cutar ke yi wa jama'a dauki dai-dai a manyan kasashen duniya. Najeriya wadda ake yi wa kirari da uwa ma ba da mama a Afirka, sakamakon yawan jama'arta da kuma karfin tattalin arzikinta na daga cikin kasashen nahiyar Afirka da cutar ta bulla kuma a kullum ake samun sama da mutum biyu da ake samun rahoton cewa sun kamu da cutar. Kasar ta fara daukar matakai tun bayan da ta ga alamar cewa cutar ta fara bazuwa matuka inda ta fara da rufe tashoshin jirgin sama. Sai dai a wannan makala BBC ta yi duba kan ko matakan da gwamnatoci ke dauka sun isa, ko da sauran rina a kaba? Kasar na da jihohi 36 kuma kusan ko wace jiha a kasar na cikin fargaba da dar-dar na tsoron bullar wannan cuta ganin cewa a fannin lafiya, akasarin jihohin kasar na cikin wani hali. Sai dai a fadin Najeriya, dakunan gwajin cutar coronavirus guda biyar ne kacal inda jihar Legas ke da biyu sai daddaya a jihohin Edo da Osun, birnin tarayya Abuja na da daya, idan aka hada duka biyar kenan. A halin yanzu akwai kayayyakin gwaji da suka iso Najeriya wadanda hamshakin mai kudin nan na China Jack Ma ya bayar da tallafinsu kuma ana sa ran cewa za a rarraba su wadannan wurare biyar. Wannan na nufin duk wanda ya kamu da wannan cuta daga wata jiha sai dai a dauki samfurin abin da ake bukata na mara lafiyar domin kai wa daya daga cikin wadancan jihohi a gwada. Shirin Gwamnatin Tarayya na yaki da coronavirus Tun kafin bullar wannan cuta ta coronavirus, gwamnatin Najeriya ta ce ta shirya tsaf ko da a ce wannan cuta ta bulla a kasar ,domin dakile ta. A wata hira da kafar yada labarai ta CNN, shugaban hukumar yaki da yaduwar cututtuka ta Najeriya Chikwe Ihekweazu ya yi ikirarin cewa ''kasar ta yaki manyan cututtuka kamar Ebola da cutar Lassa, akwai kwararru da za su yaki wannan cuta''. Sai dai yayin da wannan cuta ta fara yaduwa gadan-gadan a Najeriya, jama'a da dama na kokawa kan wannan hukumar, inda suke ganin cewa ba ta da karfin da za ta iya yakar wannan cuta ganin yadda kasar ke da miliyoyin mutane a jihohi 36. Hukumar na kokari wajen wayar da kan jama'a musamman a shirye-shirye na gidajen rediyo da kuma shafukan sada zumunta musamman Twitter. Dakta Tasi'u Ibrahim, wanda likita ne a asibitin koyarwa na Jami'ar Ahmadu Bello da ke Zariya, ya bayyana cewa a ganinsa gwamnatin tarayya ba ta shirya yaki da coronavirus ba, ''domin ko asibitin fadar shugaban kasa ma bai shirya tunkarar wannan cuta ba ballantana sauran manyan asibitoci na fadin kasar.'' Ya ce akwai bukatar na'urar da ke taimaka wa masu cutar wajen yin numfashi wato ventilator, wajen kula da masu dauke da cutar. Ya bayyana cewa kasar ba ta da isassun irin wadannan na'urori don haka batun a ce kasar ta shirya bai taso ba. Jihar da wannan cuta dai ta fara bulla a Najeriya ita ce Legas, wane irin shiri za a iya cewa jihar ta Legas ta yi domin yaki da wannan cuta da kuma hana yaduwarta? Legas Ganin cewa akasarin masu dauke da wannan cuta a Najeriya na jihar ta Legas kamar yadda hukumar NCDC ta bayyana, jihar kan zama farko wajen daukar matakai wadanda daga baya sauran jihohi ke bi. Tuni jihar ta bayar da umarnin rufe makarantu da jami'o'i da haramta taron jama'a da kuma bayar da tazara tsakanin jama'a na akalla mita daya zuwa biyu tsakanin mutane. Daga baya jihar ta kara tsaurara matakai na rufe kasuwanni da shaguna inda sai shagunan kayayyakin abinci kadai aka yarda su bude su ma da matakai. Duk da cewa gwamnatin jihar ta ce tana iyakar bakin kokarinta wajen ganin cewa ta shawo kan wannan matsala, masana harkokin yau da kullum a Najeriya irin su Dakta Abubakar Kari na ganin cewa babu wata jiha a Najeriya da za a iya cewa ta shirya tsaf domin tunkarar wannan matsala. Ya ce ''Asibitocin koyarwa da kuma asibitocin kwararru na Najeriya na cikin wani hali na kusan babu komai a cikinsu''. Ya ce akasari asibitocin babu isassun likitoci. ''Ko akwai isassun likitoci za a ga babu gadajen kwantar da marasa lafiya ko kuma na'urorin gwajin cututtuka.'' Ogun Bayan jihar Legas, jihar Ogun ce jiha ta biyu da coronavirus ta bulla kuma kamar takwararta jihar Legas, jihar Ogun ta haramta duk wasu taruka da suka wuce mutum 50 da zuwa coci-coci da masallatai da kuma kulle makarantu. Kamar sauran jihohi, gwamnatin jihar ta samar da wurin killace masu dauke da cutar ta coronavirus, kuma ta ce tana iya bakin kokarinta wurin yaki da wannan annoba. Jihar ta dauki matakai kan masana'antu da wuraren ayyuka kamar bankuna inda ta ce kada a samu sama da mutum 20 a cikinsu a lokaci guda. Hakazalika, masu mota tasi an hana su daukar sama da mutum uku a cikin mota duk a yunkurin hana yaduwar wannan cuta Duk da cewa wannan jiha ta Osun ta nuna alamun shiri na tunkarar wannan cuta, Dakta Tasi'u Ibrahim wanda likita ne a jihar Kaduna ya yi wa jihohin Najeriya kudin goro inda ya ce ''ba da gaske suke yi ba wajen yaki da cutar.'' ''An bar shiri tun rani sakamakon yadda aka yi watsi da bangaren lafiya na kasar tun tuni. Ko a makonnin da suka gabata ganin yadda wannan annoba ke illa ga manyan kasashen duniya, ya kamata a ce kasar ta dauki mataki da wuri amma hakan bai yiwu ba. Jihohin Kaduna da Kano da Neja Duk da cewa har zuwa lokacin rubuta wannan labari ba a samu bullar cutar cornavirus ba, wadannan jihohin sun dauki matakai tsaurara domin guje yaduwar coronavirus. Jihohin sun rufe makarantun firamare da sakanadare da jami'o'i, sun hana duk wasu taruka na biki ko na addinai, da kuma takaita ma'aikata masu zuwa aikin gwamnati da kuma rage cunkoso a kasuwanni. Jihohi da dama a Najeriya sun dauki irin wadannan matakai, sai dai masana lafiya da dama na ganin cewa ya kamata jihohin su kara mayar da hankali wajen yaki da wannan cuta, domin duk yadda ake tunanin wannan cuta ta wuce nan. Cikin matakan da gwamnatin jihar Kano ta dauka, gwamnatin ta haramta wa manyan motoci kirar luxurious da suka taso daga jihar Legas zuwa Kano ganin cewa jihar Legas na daga cikin jihohin da cutar ta fi yaduwa a kasar. Ita kuma jihar Kaduna ta rufe kasuwanni tare da neman gwamnatin tarayya ta dakatar da jirgin kasa da ke hada-hada daga Kaduna zuwa Abuja kusan sau hudu a rana. Gwamnatin jihar Neja kuma ta saka dokar takaita zirga-zirga a jihar ganin cewa jihar na da kusanci da Abuja babban birnin Najeriya Ya ce wannan ishara ce ga ma'aikatan gwamnati ganin cewa idan suka ki aikata abin da yakamata bayan sun samu dama, abin na iya dawowa kansu. Wasu daga cikin wuraren killace jama'a na jihohin Najeriya Ga misali wajen killace jama'a a Kano guda uku ne. AKwai daya a garin 'Yar Gaya mai gado 14. Sai daya a Kwanar Dawaki wanda kamfanin Pfizer ya gina wa jihar tuntuni. Sai kuma an ware wani bangare a asibitin koyarwa na Aminu Kano wanda idan bukata ta taso za a iya amfani da shi. A Jigawa kuma akwai cibiya mai daukar mutum 20, sannan gwamnatin jihar ta ce za su bude wasu cibiyoyin a yankunan masarautun jihar. Wajen killace masu coronavirus na jihar Osun Gwamnatin jihar Neja ta samar da wajen killace masu dauke da cutar a babban asibitin jihar da ke Minna Wurin killace masu coronavirus kenan na jihar Delta Wurin killace masu coronavirus da aka kafa a asibitin kwararru na Sobi a jihar Kwara Wurin killace masu coronavirus da gwamnatin Kano ta tanada wanda aka kafa a asibitin 'Yargaya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-38740928", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-38729745", "doc1": "সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিস অ্যান্ড গাইনোকলোজি ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সী ৭ হাজার মহিলার উপর এই সমীক্ষাটি চালায়। এদের সবারই রয়েছে নিয়মিত যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা। সঙ্গম উপভোগ না করা বা সঙ্গম করতে গিয়ে কষ্ট পাওয়ার এই ব্যাপারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিসপ্যারেনিয়া নামে পরিচিত। এটা সব বয়সী নারীর ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। পঞ্চাশ এবং ষাট বছরের মাঝামাঝি বয়েসী নারীরা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। আবার হতে পারে ১৬ থেকে ২৪ বছরের তরুণীদেরও। এটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। চিকিৎসায় এই সমস্যা ঠিক হতে পারে। গবেষণায় বেরিয়ে আসছে, একজন নারী নানা কারণে বেদনাদায়ক সঙ্গমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এটা হতে পারে শুষ্ক যোনি, সঙ্গম চলাকালে উদ্বিগ্ন থাকা কিংবা নিরানন্দ সঙ্গম। তবে যৌনবাহিত কিছু রোগের কারণেও এটা হতে পারে। গবেষণায় অংশ নেয়া কিছু নারী বলছেন, সঙ্গম তাদের এতই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা দেয় যে তারা সঙ্গম করা থেকে বিরত থাকছেন। আরো পড়ুন: ট্রাম্পকে আলেপ্পোর টুইটার বালিকার খোলা চিঠি ডিসপ্যারেনিয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন গবেষকরা। (ছবিটি প্রতীকি) লন্ডনের ৬২ বছর বয়েসী ক্যারেন (ছদ্মনাম) বলছেন, ৪০ বছর বয়েস থেকে তার এই সমস্যাটা হচ্ছে। তিনি বলছেন, \"আমার স্বামী যদিও আমার সমস্যাটা বুঝতে পারতেন, তারপরও তাকে এক পর্যায়ে ভয় পেতে শুরু করি আমি\"। ক্যারেন আরেকটি সমস্যার কথা বলেন, কোন কিছু তার যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ করানোর উপক্রম করলেই আপনাআপনি তার যোনিপথ সংকুচিত হয়ে যেত। এটা শুধু সঙ্গমের ক্ষেত্রেই নয়, কোন ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গিয়েও এটা হত, বলছেন ক্যারেন। পরে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং ডাক্তার তাকে ঔষধ দেন। \"মহিলাদের জানা দরকার এ ধরণের সমস্যার জন্য সাহায্য পাওয়ার উপায় আছে। কিন্তু সেটা যথাসময়ে করতে হবে\", বলছেন ক্যারেন। \"অনেক মহিলা এটা নিয়ে কথা বলতে চান না। আমরা সন্তান জন্ম দেয়ার সময়কার ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিস্তারিত আলাপ করি, কিন্তু আমাদের প্রজন্মের মহিলারা সঙ্গম এবং ঋতুস্রাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে আগ্রহী না। আমাদের কথা বলা উচিত\"। প্রধান গবেষক ড. ক্রিস্টিন মিচেল বলছেন, শুধু বয়স্ক নারীরাই যে যৌন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বিব্রত হন তা নয়, এই প্রবণতা সব বয়সের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। এদিকে ক্যানাডায় ২শ জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর উপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে তাদের অর্ধেকের ক্ষেত্রেই প্রথম সঙ্গমের অভিজ্ঞতা ছিল বেদনাদায়ক। ড. মিচেল এই পরিস্থিতি এড়াতে, তরুণ-তরুণীদের যৌন শিক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।", "doc2": "Binciken da aka yi kan kusan mata 7,000 'yan tsakanin shekara 16 zuwa 74, wanda aka wallafa a mujallar Birtaniya mai suna British Journal of Obstetrics and Gynaecology, ya ce wannan matsala, wacce a kimiyyance aka sanya wa suna dyspareunia - ta zama gama-gari kuma tana shafar mata manya da kanana. Sai dai binciken ya nuna cewa lamarin ya fi faruwa ga matan da suka haura shekara hamsin da doriya zuwa sittin da kuma 'yan tsakanin shekara 16 zuwa 24. Amma likitoci sun ce ana iya magance matsalar. Ana alakanta jin zafi lokaci jima'i da wasu matsalolin da suka danganci jima'i kamar bushewar farji da fargaba lokacin jima'i da kuma rashin jin dadin jima'in. Wasu matan sun ce suna tsoron yin jima'i ne saboda suna matukar jin zafi. Mata na jin kunyar tattaunawa kan jima'i"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40670859", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53412988", "doc1": "আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির টিয়াপাখি ২০১৫ সালে গ্লেনা ডুরাম তাদের পোষা টিয়া পাখির সামনেই গুলি করে স্বামী মার্টিনকে মেরে ফেলেন - তারপর বন্দুকের নল নিজের দিকে ঘুরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে ওই টিয়া পাখিটি মার্টিনের গলা নকল করে বলতে থাকে 'ডোন্ট শ্যুট', জানিয়েছেন মার্টিনের সাবেক স্ত্রী। আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানির শেষে জুরি ৪৯ বছর বয়সী মিসেস ডুরামকে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী মাসে তার সাজা ঘোষণা করা হবে। ২০১৫ সালের মে মাসে ডুরাম দম্পতির স্যান্ড লেকের বাড়িতে ওই হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গ্লেনা ডুরাম নিজে ওই ঘটনায় মাথায় আঘাত পেলেও বেঁচে যান। এই হত্যা মামলার শুনানিতে যখন সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করা হচ্ছিল, তখন অভিযুক্ত গ্লেনা ডুরাম যে রকম 'অনুতাপহীন' অবস্থায় বসেছিলেন, তা তাকে ব্যথিত করেছে বলে জানিয়েছেন নিহত মার্টিন ডুরামের মা লিলিয়ান। স্বামী মার্টিনকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গ্লেনা ডুরাম ডুরাম দম্পতির পোষা টিয়া পাখিটি এখন রয়েছে মার্টিনের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিয়ানা কেলারের কাছে। এই টিয়াটি ছিল আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির। তিনি এর আগে জানান, টিয়াটি এমন কিছু কথাবার্তা বলছিল - যা থেকে মনে হচ্ছিল সে যেন ওই হত্যার রাতের কথাবার্তাই পুনরাবৃত্তি করছে। আর সেটা শেষ হচ্ছিল 'ডোন্ট শ্যুট' দিয়ে। মি. ডুরামের বাবা-মাও মনে করছেন, এটা খুবই সম্ভব যে বাচাল টিয়া পাখিটি হত্যার রাতে ডুরাম দম্পতির ঝগড়া শুনেছিল আর তারপর সে তাদের বলা কথাবার্তাই বলছে। তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিয়া পাখিটি যা শুনত সেটা অক্ষরে অক্ষরে মনে রাখতে পারত। হতে পারে সে রাতে টিয়াটি দু'জনের সব কথাবার্তাই শুনেছিল। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একজন কৌঁসুলি প্রথমে এই টিয়ার আওয়াজকে আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য সে ভাবনা আর কার্যকর করা হযনি। আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন : ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত, প্রশাসনে তোলপাড় ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি সম্বন্ধে দশটি অজানা তথ্য বাদশাহর আদেশে গ্রেফতার হলেন এক সৌদি প্রিন্স লন্ডনে গিয়েও সংলাপে গেলোনা কেন আওয়ামী লীগ?", "doc2": "Rundunar 'yan sanda a Michigan ta saki hoton bidiyon fito na fiton tsakanin 'yar sandan da wanda ake zargi 'Yan sanda sun ce lamarin ya samo asali ne a wani shago kusa da Lansing, wajen da wanda ake zargin - mai suna Sean Ruis - ya afkawa wani mutum mai shekara 77 da ya kalubalance shi saboda kin sa takunkumi. Jami'an sun ce Ruis ya arce daga wajen da lamarin ya faru cikin wata mota. Daga bisani kuma wata 'yar sanda ta kama shi. Ta bude wuta lokacin da Ruis ya yi kokarin kai mata hari. Rundunar 'yan sanda a Michigan ta saki hoton bidiyon fito na fiton ranar Talata. Hoton bidiyon ya nuna lokacin da motar 'yan sanda ke tsayar da wata mota kuma direban motar da aka gano Ruis ne ya yi kan 'yar sandan wadda ta harbe shi bayan wani dan sabani. 'Yan sandan sun ce Ruis mai shekara 43 yana dauke da makami. An kai shi asibiti inda a nan ne aka tabbatar ya mutu. Lamarin ya faru minti 30 bayan da ake zargin Ruis da cakawa wani kwastoma wuka a wani shago da ke Dimondale mai kusan nisan kilomita 10 daga kudanci. Takaddamar dai ta faru ne lokacin da dan shekara 77 - da ke sanye da takunkumi - ya ke yi wa Ruis fada saboda kin saka takunkumi. Yanzu haka dattijon yana asibiti kuma yana samun sauki. Ba wannan ne karon farko ba da ake samun irin wannan takaddama kan sa takunkumin fuska a Amurka. Ko a makon da ya gabata, an tuhumi wani mai gadi a Gardena da ke kudu da Los Angeles da kisa bayan ya harbi wani kwastoma da ya shiga wani shago ba tare da saka takunkumi ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54703666", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-54697787", "doc1": "২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে পল পগবা ফরাসী জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। ইসলাম সম্পর্কে ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি ফ্রান্সের হয়ে আর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবেন না- এমন একটি খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এভাবেই তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান। ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার এই খবরটিকে \"একেবারেই ভুয়া\" খবর বলে উল্লেখ করেছেন। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জয় করেছেন পগবা। তিনি একজন মুসলিম। জাতীয় দলের হয়ে মোট ৭২টি ম্যাচ খেলে তিনি ১০টি গোল করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেও ফরাসী দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। ফ্রান্সে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যার পরেই মুসলিমদের সংখ্যা। ধারণা করা হয় যে দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ মুসলিম বসবাস করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে 'আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়লেন পগবা', 'ফ্রান্সের জার্সিতে আর খেলবেন না পগবা'- এধরনের শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়। একই সাথে সোশাল মিডিয়াতেও এই খবর ভাইরাল হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর অভিযোগে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে বাড়ি ফেরার পথে গলা কেটে হত্যা করার পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করেন। ইসলাম ধর্মকে তিনি \"আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস\" হিসেবে উল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বে। এর পরেই ফরাসী সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশে। কয়েকটি দেশে ফরাসী পণ্য বর্জনেরও ডাক উঠেছে। বিক্ষোভ হয় লিবিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো কয়েকটি দেশেও। তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফরাসী প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও আহবান জানিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে পল পগবার পোস্ট। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবরগুলোতে বলা হয়, মুসলিম বিশ্বের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে পল পগবা ফরাসী দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পরে পল পগবা বলেন, \"আমার সম্পর্কে ১০০% ভিত্তিহীন খবর চারদিকে ছড়ানো হয়েছে। তাতে এমন জিনিস বলা হয়েছে যা আমি কখনো বলিনি, ভাবিনি।\" সোশাল মিডিয়া ইন্সটাগ্রামে তিনি এবিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিখেছেন, এই খবরে তিনি \"স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও ধাক্কা খেয়েছেন।\" তিনি বলেন, কোন কোন সংবাদ মাধ্যম \"ফরাসী জাতীয় দল ও আমার ধর্ম একসাথে মিশিয়ে ভুয়া খবর তৈরি করেছে।\" ইন্সটাগ্রামে পল পগবার অনুসারীর সংখ্যা চার কোটি ২০ লাখেরও বেশি। ফরাসী প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বিষয়ে পল পগবা কোন মন্তব্য করেননি। তবে ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, \"আমি সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।\" ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, \"আমার ধর্ম শান্তি ও ভালোবাসার এবং এই ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে হবে।\" হজ করছেন পল পগবা। আরো পড়তে পারেন: ওমরাহ করার জন্য সবচেয়ে দামী ফুটবলার এখন মক্কায় পল পগবা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন নি। তবে তার মা ছিলেন মুসলিম। ২০১৯ সালে পগবা জানান যে তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি এর আগে বলেছিলেন, \"আরো ভাল মানুষ হওয়ার জন্য তিনি মুসলিম হয়েছেন।\" মুসলিম বলতে কী বোঝায়- দ্য টাইমসের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, \"এটা সবকিছু। এই ধর্ম আমাকে পরিবর্তন করেছে, জীবনের অনেক কিছু আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমার ধারণা এটা আমার ভেতরে আরো বেশি শান্তি নিয়ে এসেছে।\" তিনি বলেন, \"আমার জীবনে এটা একটা ভাল পরিবর্তন।\" \"ইসলামকে প্রত্যেকে যেভাবে দেখে-সন্ত্রাস-ইসলাম সেরকম নয়। মিডিয়াতে আমরা যা শুনি সেটা ভিন্ন বিষয়। এটা খুব সুন্দর একটি ধর্ম। এবিষয়ে আপনাকে জানতে হবে।\" ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে পল পগবা। ফরাসী দল ছাড়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পগবা লিখেছেন, \"কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম আছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যারা সংবাদ তৈরির সময় দায়িত্বশীল থাকে না। তারা সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অপব্যবহার করে।\" \"তারা যে খবরটি লিখে বা তৈরি করে তার সত্যতা যাচাই করে দেখে না। এই খবরটি মানুষের এবং আমার জীবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে সেটা না ভেবেই তারা গুজব ছড়িয়ে দেয়,\" বলেন তিনি। পল পগবা বলেন, \"যারা এই ১০০% ভুয়া খবরটি প্রকাশ করেছে এবং ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।\" ২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে পল পগবা ফরাসী জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন। এর আগে খেলেছেন ইতালিয়ার ক্লাব ইওভেন্টাসে। পল পগবা ছাড়াও আরো কিছু মুসলিম ফুটবলার আছেন ফরাসী দলে তাদের মধ্যে অন্যতম তারকা কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়াও রয়েছেন ওসমান ডেমবেলে, এন'গোলো কান্টে, আদিল রামি, জিবরিল সিদিবে, নাবিল ফেকিরসহ আরো অনেকে।", "doc2": "Pogba ya buga wa tawagar Faransa Gasar Nations League a farkon watan nan An bayar da rahoton cewar Pogba mai shekara 27, zai bar buga wa tawagar kwallon kafa ta Faransa tamaula saboda wasu kalamai da shugaban kasar Emmanuel Macron ya yi kan Musulunci. Dan wasan da ya lashe Kofin Duniya wanda kuma Musulmi ne, ya ci wa tawagar Faransa kwallo 10 a wasa 72 da ya buga mata. ''Labarin na dauke da abubuwa da 100 bisa 100 na ƙage ne da aka ce na fada ko na sanar.'' in ji Pogba. Kamar yadda ya rubuta a shafinsa na a Instagram: \"Na kadu kuma raina ya baci kan inda wata kafar yada labarai kan yi amfani da labarin karya a babban game da abin da ke faruwa a Faransa har da karawa da tawagar Faransa da kuma addinina. \"Ba na goyon bayan kowanne irin tada kayar baya da rikici. Abin takaici wasu mutane ba sa yin abin da ya dace a lokacin rubuta labarai, ta inda suke cin zarafin fadin albarkacin baki ba tare da sun tantance gaskiyarsa ba. \"Suna kirkirar tsegumi ba tare da jin cewar zai shafi mutane da rayuwarsu ba. \"Zan dauki matakin shari'a kan wadanda suka wallafa da yada wannan labarin karya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52687904", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/52603200", "doc1": "জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৮৬ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন লাখ ৭ হাজার ৪৮৬ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মারা গেছেন মোট ৮৭ হাজার ৫৩০ জন। এরপরেই বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যে, ৩৪ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় দেশ ইতালি। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৬১০ জনের। শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন। আক্রান্তের তালিকারও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ। এরপরে রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫ জন। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে ১৮৮টি দেশ বা অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। করোনাভাইরাসের এখনও কোন নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই। রোগটির প্রকোপে উন্নত বা উন্নয়নশীল, সব ধরণের দেশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশে বা এলাকায় লকডাউন চলছে। বাংলাদেশেও ২৬শে মার্চ থেকে চলছে অঘোষিত লকডাউন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ১১ই মার্চ বিশ্ব জুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ। এর ১০দিন পরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪১টি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ১০,০০০ নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে এই পরীক্ষা শুরুর পর দুই মাসেও এর সংখ্যা বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।", "doc2": "Kwararu sun yi gargadi kan sake yaduwar corona sakamakon sakaci da rashin jin gargadi a wasu kasashe da dama Alkaluman da Jami'ar John Hopkins ta fitar sun ce mamata sun karu zuwa 277,000 sakamakon annobar. Amurka ce kan gaba wajen yawan masu dauke da cutar, inda kashi 1 bisa 4 na adadin masu dauke da cutar da kashi 1 bisa 3 na mamata 'yan kasar ne. Kwararu sun yi gargadi sake samun karuwar wadanda za su kamu da cutar, yayinda kasashen ke fuskantar karancin gwaje-gwaje da bayanai. An samu ragin rasa rayuka a wasu kasashen, ciki akwai Spaniya, sai dai akwai fargabar da ke nuna sassauta dokar kulle ka iya sake fantsama annobar a ''karo na biyu''. Bugu da kari, gwamnatoci na rungumar matakan farfado da tattalin arziki, yayinda annobar ta yi illa ga kasuwanci a duniya da kassara duk wasu hada-hada. A wasu daga cikin manyan ci gaba da aka samu a baya-bayanan: A wannan makon, An dage dokar kulle a Italiya, wacce ta taba zama cibiyar annobar a duniya. 'Yan Italiya sun samu damar fitowa motsa jiki da ziyarta 'yan uwa a yankunansu. Faransa sama da wata guda yanzu ana samun raguwar masu mutuwa sakamakon wannan cuta, inda mutum 80 kawai suka mutu a cikin sa'o'i 24. Mahukunta na shirin sassauta dokar hana fita daga Litinin, kamar yadda makociyarta Spaniya ta yi. A kasashen irinsu Afirka ta Kudu kuwa dokar hana fita na ci gaba da aiki, duk da kiraye-kirayen da 'yan adawa ke yi na a kawo karshen dokar. A Korea ta Kudu, an sake daukan sabbin matakai a kan shagunan sayar da barasa da gidan rawa, bayan sake samun rahotan yaduwar cutar a irin wadanan wurare a Seoul. Shugabannin kasashe da dama na cigaba da bayyana fatansu na shawo kan annoba da alfannu dokar kulle. A Belarus, dubban sojoji sun gudanar da faretin bikin cika shekara 75 da nasara a yakin duniya na biyu, bayan Shugaba Alexander Lukashenko ya yi watsi da bukatar daukan matakai masu tsauri kan annobar. Mujallar kiwon lafiya ta Lancet a Burtaniya ta wallafa wata makala kan shugaban Brazil Jair Bolsonaro, wanda ta bayyana a matsayin babban barazana ga kasar sa kan gaza shawo yaduwar annobar korona. Brazil a yanzu ita ce mai yawan masu dauke da wannan cuta a kasashen Latin Amurka, sai dai shugabanta har yanzu bai yadda akwai cutar ba, sanna ya sha rigima da gwamnoni kan daukan matakan hana zirga-zirga."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55144549", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55143034", "doc1": "প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদে জামাত এই সনদে সই করার বিষয়টি ফ্রান্সের মুসলমানদের মধ্যে একটা বড়ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের বিশেষ করে উদার মানসিকতার ইমামরা এই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন। দেশটির নয়টি পৃথক মুসলিম সংগঠনের জোট এই ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ বা সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে। ফ্রান্সে এই সনদ নিয়ে বিতর্ক চললেও ফ্রান্সের সরকার এই সনদ কার্যকর করতে এবং ইমামদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে যে বদ্ধপরিকর তার একটা প্রমাণ ফ্রান্সে পাকিস্তানের এক ইমামের সাম্প্রতিক কারাদণ্ড। প্যারিসের উত্তর শহরতলীর একজন পাকিস্তানি ইমাম লুকমান হায়দারকে দিনকয়েক আগে, ২৭শে নভেম্বর, ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে টিকটক প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দিয়ে ভিডিও বার্তা পোস্ট করার জন্য। ২০১৫ সালে ফ্রান্সে যাওয়া এই ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি টিকটকে তিনটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যার প্রথমটিতে তিনি শার্লি এবদোতে ইসলামের নবীর কার্টুন ছাপা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, \"মুসলমানরা নবীর জন্য নিজেদের জীবন বলি দিতে প্রস্তুত\"। দ্বিতীয়টিতে তিনি \"অমুসলিম এবং অবিশ্বাসীদের ওপর হামলার\" কথা বলেন এবং বলেন \"তাদের স্থান দোজখে\"। ২৫শে সেপ্টেম্বর পোস্ট করা শেষ ভিডিওতে তিনি পাকিস্তানি এক হামলাকারীর শার্লি এবেদোর সাবেক দপ্তরের বাইরে ছুরিকাঘাতে চার ব্যক্তিকে জখম করার \"সাহসিকতার\" প্রশংসা করেন। ইমাম লুকমান হায়দারের সাজা খাটা শেষ হলে তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে। প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজ মূল্যবোধের সনদ ইমামদের যে ''প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সনদ'''এ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, সেই সনদের বয়ানে থাকতে হবে যে, ফরাসী মূল্যবোধকে তারা স্বীকৃতি দেন, ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক আন্দোলনের আদর্শ হিসাবে তারা প্রত্যাখান করেন এবং মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ'ও এই বয়ানে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই সনদ নিয়ে কীধরনের চাপ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা লুসি উইলিয়ামসন কথা বলেছেন মুসলিমদের সাথে। \"এই মূল্যবোধের সনদের সবকিছুর সাথে আমরা সকলে একমত নই,\" বলেছেন ফ্রান্সের মুসলিম কাউন্সিল সিএফসিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদের রেক্টর শেম্স এডিন হাফিজ। তবে তিনি বলছেন, \"ফ্রান্সে ইসলাম ধর্মের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক যুগ সন্ধিক্ষণ এবং মুসলিম হিসাবে আমরা একটা বড় দায়িত্বের মুখোমুখি\"। তিনি বলছেন আট বছর আগে তার চিন্তাভাবনা ছিল অন্যরকম। তিনি বিষয়টা দেখতেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তখন টলুসে এক হামলা চালিয়েছিল ইসলামপন্থী মোহাম্মদ মেরাহ। \"প্রেসিডেন্ট (সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট) সারকোজি এ নিয়ে কথা বলার জন্য ভোর পাঁচটায় আমার ঘুম ভাঙিয়েছিলেন,\" তার মনে আছে। \"আমার মনে আছে আমি প্রেসিডেন্টকে বলেছিলাম: 'তার নাম মোহাম্মদ হতে পারে, কিন্তু সে একজন অপরাধী!' আমি অপরাধের সাথে আমার ধর্মকে জড়াতে চাইনি। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলেছে। ফ্রান্সে ইমামদের সামনে বড় দায়িত্ব রয়েছে।'' ফরাসী সরকারের পরিকল্পনা হল সিএফসিএম-কে ফ্রান্সের ইমামদের একটি নথিভুক্ত রেজিস্টার তৈরি করতে হবে। এই তালিকাভুক্ত ইমামদের প্রত্যেককে এই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে এবং সনদে সই করলে তবেই তারা ইমাম হিসাবে স্বীকৃতি এবং অনুমতিপত্র পাবেন। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ অক্টোবর মাসে মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর ওপর ''ব্যাপক চাপ প্রয়োগের'' কথা বলেছেন। কিন্তু ফ্রান্সের জন্য কাজটা কঠিন। কারণ দেশটি নিজেদের 'ধর্মনিরপেক্ষ' বলে গর্ব করে থাকে। মি. ম্যাক্রঁ বলছেন তিনি রাজনৈতিক ইসলামের বিস্তার বন্ধের চেষ্টা করছেন। তিনি ধর্মপালনের ক্ষেত্রে কোনরকম হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন না। তিনি এই ধরাণা দিতে চান না যে, তিনি কোন একটি বিশেষ ধর্মকে আলাদা করে দেখছেন। ফ্রান্সের মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকে ফরাসী সমাজে সম্পৃক্ত করার, তাদের সমাজের অংশ করে নেবার জন্য সাম্প্রতিক কয়েক বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। ফ্রান্সে ইউরোপের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমের বাস। দেশটিতে মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ। ফ্রান্সের মুসলিমদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ের রয় বলছেন এই সনদের দুটি সমস্যা রয়েছে। এক হল বৈষম্য, কারণ এটি শুধু মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি ধর্মপালনের স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে। ''আপনি যে দেশে আছেন সেদেশের আইন মানতে আপনি অবশ্যই বাধ্য,'' তিনি বিবিসিকে বলেন, ''কিন্তু সেই দেশের মূল্যবোধ নিয়ে গর্ব করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক কেন করা হবে। আপনি সমকামী, উভলিঙ্গ অর্থাৎ এলজিবিটিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করতে পারেন না। কিন্তু ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারীরা তো সমকামীদের বিয়ে অনুমোদন করে না।'' আরও পড়তে পারেন: ফ্যাশান ডিজাইনার ইমান মেসতাউই বলছেন তার ভাষায় যাকে তাকে ''ঘৃণার চোখে দেখেন'' তাদের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। এরা হলেন কট্টরপন্থী কিছু মুসলমান যারা তার স্কার্ফ বা ওড়নার ডিজাইন নিয়ে সমালোচনা করেন - তারা বলেন তার ডিজাইন করা স্কার্ফ নারীর চুল পুরোপুরি ঢাকে না। কিন্তু তিনিও মনে করছেন, ''ফরাসী মূল্যবোধে''র সনদে ইমামদের স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ফ্রান্সে অনেকেই মুসলিমদের পুরোপুরি ফরাসী হিসাবে মেনে নিতে চায় না। ''দাবিটা খুবই অদ্ভুত। আপনাকে দেখাতে হবে আপনি প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সাথে একমত, আপনি নিজেকে দেশটিতে একজন ফরাসি বলে ভাবুন, যেখানে কিন্তু ফরাসিরা আপনাকে ফরাসি বলে মনে করবে না,'' তিনি ব্যাখ্যা করলেন। শিরশ্ছেদ করা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির মৃত্যুতে মুসলিমদের হয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন ইমাম শালঘৌমি ''আমরা এ দেশে যাই করি না কেন- কর দেয়া থেকে শুরু করে সেনা বাহিনীতে অংশ নেয়া - কখনই কিন্তু সেটা যথেষ্ট মনে করা হবে না। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি সত্যিকার অর্থে ফরাসী: আপনাকে শূকরের মাংস খেতে হবে, মদ পান করতে হবে, হিজাব পরতে পারবেন না, উরুর ওপর স্কার্ট পরতে হবে। এটা রীতিমত হাস্যকর।'' কট্টরপন্থা ও ইমামদের ভূমিকা তবে প্যারিসের উপকণ্ঠে ড্রান্সি মসজিদের ইমাম হাসান শালঘৌমি বলছেন কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির সরকারকে বাধ্য হয়ে কিছু পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। তার সংস্কারপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেবার পর থেকে মি. শালঘৌমি এখন লুকিয়ে রয়েছেন। \"আমাদের এখানে বাড়তি করণীয় আছে। আমরা যে ফরাসী সমাজের অংশ সেটা আমাদের প্রমাণ করার একটা ব্যাপার আছে। আমরা যে দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেটাও আমাদের দেখাতে হবে,\" বলেন মি. শালঘৌমি। \"কট্টরপন্থীদের কার্যকলাপের কারণেই আমাদের এই মূল্য দিতে হবে।'' ''এটা আমার বিবেকের স্বাধীনতার প্রকাশ'': হিজাব পরার ওপর ফরাসী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা প্যারিসের বড় মসজিদ গ্র্যান্ড মসজিদের বাইরে জায়নামাজ আর কোরআন নিয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছেন চারকি দেন্নাই। ''এই কট্টরপন্থী তরুণরা টাইম বোমা,'' তার বক্তব্য। \"আমার মতে ইমামরা তাদের সাথে খুবই নরম আচরণ করেন। দেখুন আমরা ফরাসী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একইভাবে ইমামকেও আমি শ্রদ্ধা করি। এটা অবশ্যই সম্ভব। আমি তো এটাই করতে চাই।'' কিন্তু ইমামরা তরুণ মুসলমানদের কতটা প্রভাবিত করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে যেসব তরুণ কট্টরপন্থী মনোভাবের এবং সহিংস পথের অনুসারী। \"এটা মোটেই কাজ করবে না,\" বলছেন অলিভিয়ের রয়, \"এর সহজ কারণ হল এরা কিন্তু সালাফি মতবাদে দীক্ষিত হয়নি। আপনি যদি এই সন্ত্রাসীদের জীবন পরিচয় দেখেন দেখবেন রাজনৈতিক ইসলামের ধারার যে মতাদর্শ তারা সেই মতাদর্শের সাথে আদৌ পরিচিত নয়।\" কাজেই তাদের সহিংস পন্থার সাথে ইসলামী শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ের রয়। তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য কৌশল ফ্রান্সের সরকার এই সনদের মাধ্যমে \"বিদেশি হস্তক্ষেপ\" বন্ধ করার প্রয়াস নিয়েছে। সরকার মনে করছে বিদেশি প্রভাব ঠেকানো, কট্টরপন্থীদের সহিংসতা ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য সরকারি কৌশলের একটি অংশ হবে এই সনদ। সরকার চাইছে যেসব তরুণ মনে করছে রাষ্ট্র তাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে এই সনদ কার্যকর করে তাদের সমাজে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। সরকার তরুণদের হৃদয় জয় করতে আরও কিছু ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে। মি. ম্যাক্রঁ সরকারি স্কুলগুলোতে আরবী ভাষা শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে চান, দরিদ্র এলাকাগুলোতে তিনি বিনিয়োগ বাড়াতে চান এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন তার সংস্কারের লক্ষ্য কট্টরপন্থী মুসলিমরা যারা ফ্রান্সের আইন এবং মূল্যবোধ প্রত্যাখান করছে। তিনি বলেছেন তিনি মুসলমানদের সার্বিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করছেন না। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? আরও পড়তে পারেন: ফ্রান্সে ইসলামপন্থীদের আন্দোলন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ হাকিম আল-কারুনি ফ্রান্সের সরকারকে ইসলাম বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ''কৌশলের ব্যাপারে আমি খুবই আগ্রহী,'' তিনি বিবিসিকে বলেন। ''এই সরকারি কৌশল খুবই পূর্ণাঙ্গ পরিসরে নেয়া। এখানে সাংস্কৃতিক, এবং সংগঠনের ভূমিকা ও অর্থায়ন বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।'' কিন্তু তিনি বলছেন, এধরনের প্রকল্পে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে সরকারের সম্পৃক্ত করা উচিত, ''কারণ ইসলাম ধর্মের আসল শিক্ষা এবং এই ধর্মের আলো তারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার দক্ষতা এবং যোগ্যতা রাখেন। ফ্রান্সের সরকার কখনও সেটা করতে পারবে না।'' এবং \"তৃণমূল স্তরের মুসলিমদের'' আস্থা এখানে অর্জন করতে না পারলে এই সনদ কার্যকর করা খুবই কঠিন হবে, বলছেন অলিভিয়ের রয়। ''ধরা যাক্ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ বা সিএফসিএম-কে পুরো অগ্রাহ্য করে তাদের নিজস্ব একজন ইমাম নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল। তখন সরকার কী করবে?\" বলছেন অলিভিয়ের রয়। \"সরকারকে হয় সংবিধান বদলাতে হবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ধারণা বাদ দিতে হবে। নাহলে সরকার কখনই মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরকার অনুমোদিত ইমাম নিয়োগের একটা ব্যবস্থা সনদ সই করিয়ে কায়েম করতে পারবে না।\" প্যারিসের ফ্যাশান ডিজাইনার ইমান মেসতাউই বলছিলেন ২০১৭ সালে তিনি তার পরিবারের সকলকে রাজি করিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে ভোট দেবার জন্য। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেছেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মি. ম্যাক্রঁ কীভাবে অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দক্ষিণ পন্থার দিকে \"চরমভাবে ঝুঁকেছেন\"। \"আমি ম্যাক্রঁ-পন্থী ছিলাম,\" তিনি বলেন। \"আমি ভেবেছিলাম আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য তিনি সত্যিকার আশা ভরসা। কিন্তু এখন মনে হয় তিনি আমাদের দূরে ঠেলে ব্রাত্য করে দিয়েছেন।\"", "doc2": "Sallah a babban Masallacin birnin Paris An bayar da rahoton cewa an buƙaci Majalisar ta (CFCM), wacce ta ƙunshi ƙungiyoyi daban-daban na Musulmai a ƙasar da su haɗa a cikin ƙasidar mai ƙunshe da dokar al'adun Jamhuriyyar Faransa, yin watsi da Musulunci a matsayin ƙungiyar siyasa da kuma hana tasirin ƙasashen waje. \"Dukkanninmu ba mu amince da ko mece ce dokar a'ladun Faransa da abin da ta ƙunsa ba,'' in ji Chems-Eddine Hafiz, mataimakin shugaban ƙungiyar ta CFCM kuma shugaban babban masallacin birnin Paris. Amma kuma, ya ce, ''muna cikin yanayi na tarihin sauyi ga addinin Islama a Faransa kuma mu Musulmai na fuskantar nauyin da ya rataya a wuyanmu''. Shekaru takwas da suka gabata, ya ce, tunaninsa daban ne. Ba da daɗewa ba ne wani mai tsattsauran ra'ayin addinin Islama Mohamed Merah ya ƙaddamar da hari a birnin Toulouse. \"Tsohon shugaban Faransa Sarkozy ya sa ni saukowa daga kan gado da misalin ƙarfe biyar na safe don tattaunawa a kai, Na faɗa masa: \"Sunansa ka iya zama Mohammed, amma kuma mai aikata laifi ne! Ban so in riƙa haɗa aikata laifin da kuma addinina ba. Amma a yau, ina yi. Dole sai limaman Faransa sun yi aiki a kai.'' Tsarin shi ne ƙungiyar ta ƙirƙiri wani kundin rijista ga limaman a Faransa, wanda kowannensu zai saka hannu a kan dokar, kafin a tantance shi. A watan Oktoba ne Shugaba Macron ya yi magana a kan yin ''matsin lamba'' kan shugabannin Musulmai. Amma kuma ƙasa ce ne mai wuyar shi'ani da take matuƙar son bambanta addinai da al'amuran gwamnati. Mista Macron na ƙoƙarin dakatar da siyasar Musulunci ne, ba tare da an shaida cewa yana yin katsalandan a harkokin addini ba, ko kuma ware wani addini daban ba. Haɗe duka ƙungiyoyin Muslmai wuri guda a cikin al'ummar Faransa ya kasance wani batu mai cike da sarƙaƙiyar siyasa a shekarun baya-bayan nan. Faransa na da ƙiyasin Musulmai kimanin miliyan biyar - ƙasa mafi adadin Musulmai marasa rinjaye a cikin ƙasashen Turai. Olivier Roy, wata ƙwararriya a harkokin addinin Musulunci a Faransa ta ce dokar ta haifar da matsaloli biyu. Ɗaya ita ce nuna wariya saboda kawai ta shafi masu wa'azin addinin Musulunci ne, kana ɗayar kuma 'yancin gudanar da addinin. \"An umarce ku da ku amince da waɗannan dokoki na ƙasa,'' ya shaida min, ''amma kuma ba a buƙaci ku nuna bambanci kan ƙungiyar LGBT mai goyon bayan kuwaɗi da maɗigo ba , misali ba a amince wa Cocin Katolika ya yarda da auren jinsi ba.'' Mai zayyane-zayyanen kayan ƙawa Iman Mestaoui na shan samun kalaman ɓatanci daga waɗanda ta kira ''masu nuna ƙiyayya'' - masu kaifin kishin Islama da ke cewa tsarin zayyanar ɗankwali da rawaninta ba kasafai suke iya rufe gashin mace yadda ya kamata ba. Amma kuma, ta ce, batun umartar limaman na su rattaba hannu kan ''dokar al'adar Faransa'' matsala ce, bayan da ake kallon Musulmai waɗanda ba cikakkun 'yan kasar Faransa ba. \"Ya zama saka mu a wani yanayi da dole sai ka nuna wa mutane cewa ka yarda da al'adu da dabi'un kasar Faransa; inda za ka riƙa jin kai ɗan kasar Faransa ne, amma kuma ba ka jin Faransar a jikinka,'' ta bayyana. Limami Chalghoumi ya jagoranci alhinin malamin da aka datse wa kai Samuel Paty \"Muna jin kamar duk abinda muka yi - biyan haraji, ayyukan ''raya kasa'' - za su wadatar. Dole ka nuna cewa kai dan kasar Faransa ne; dole ka ci naman alade; sha barasa; kada ka saka hijabi, ka saka gajeren siket. Wannan ba daidai bane.'' 'Masu tsattsauran ra'ayi - bama-bamai ne' Amma Hassen Chalghoumi, limamin masallacin Drancy da ke wajen birnin Paris ya ce bayan shekarun da aka shafe ana kai harin ta'addanci, an tilasta wa gwamnati ɗaukar mataki. Yanzu haka Mr Chalghoumi ya ɓoye kansa, bayan shan samun barazanar kisa kan ra'ayin a kawo sauyi da yake da shi. \"Dole sai da muka kai maƙurar fitowa mu nuna cewa duka kanmu a haɗe yake sosai, cewa muna mutunta doka,'' ya shaida min.'' Wannan shi ne sakamakon ya biyo baya saboda masu tsattsauran ra'ayi.'' \" Ba tsokana ba ce, 'yancin da ke raina ne kawai'', Zanga-zanga ka dokar Faransa kan saka hijabi A wajen babban masallacin birnin Paris, Charki Dennai ya iso don gabatar da sallah, yana matse da dardumar sallarsa da Alkur'ani mai girma a hammatarsa. \" Wadannan matasan masu (tsattsauran ra'ayi) tamkar wasu bama-bamai ne da aka dana,'' ya ce. '' Ina ga limaman kamar suna sausauta musu sosai. Za mu iya mutunta dokar kasar Faransa da kuma Musulunci, abu ne mai sauki. Abinda nake yi kenan. Amma akwai ayoyin tambaya wane irin tasiri ne limamen ke da shi a kan matasan Musulmai, musamman idan ana batun tashin hankali mai nasaba da tsattsauran ra'ayi. \" Ba zai yi amfani ba,'' in ji Olivier Roy, \" dalilan kuwa su ne: 'yan ta;'addanba sun zo daga masallatan Salafi bane. Idan ka duba tarihihn rayuwar 'yan ta'addan, babu daya daga cikinsu da suka fito daga indaake yin wa'azin Salafi \" masu bin akidar Salafi na da tsattsauran ra'ayi, kungiyar masu kaifin ra'ayin da ake dangantawa da Musluncin siyasa. Shawo kan matsalar matasan da aka yi watsi da su Dokar daya daga cikin manyan tsare-tsaren gwamnati ne na shawo kan matsalar tasirin ƙasashen waje, hana abkuwar tashin hankali da kuma barazana daga masu tsattsauran ra'ayi, tare da sake janyo hankalin matasa da ke ganin an mayar da su saniyar ware a ƙasar. Mr Macron na tunanin ƙara bunƙasa koyar da harshen Larabci a makarantun ƙasar da ƙara zuba bunƙasa yankunan da suke koma baya, ya kuma tabbatar da cewa ya saka ƙafar wando daya da masu tsattsauran ra'ayi da suke ƙin amincewa da doka da al'adun Faransa, amma ba ɗaukacin Musulmai ba. Bidiyon abin da ya jawo ƙasashen Musulmai suka juya wa Faransa baya Hakim El-Karoui wani ƙwararre ne kan ƙungiyoyin Musulmai na Faransa a cibiyar Montaigne da suka saba bayar da gudunmawa ga tunanin gwamnati. Amma ya ce, ya kamata a saka Musulmai da kansu a cikin ayyukan gwamnati irin waɗannan, ''saboda za su iya bayar da gudunmawa wajen yadawa da kuma wayar da kan wani ɓangare na addinin Islama a shafukan sada zumunta - gwamnatin ta kasa yin hakan''. Kuma ba tare da sa hannun ''Musulam da ke karkara ba\", in ji Olivier Roy, zai yi wahala sabuwar dokar ta iya fara aiki. \"Mu yi tunanin a ce Musulman yankin su yanke shawarar ƙungiyar ta CFCM su sake naɗa nasu limamin,'' ya shaida min. ''Me gwamnati za ta yi? Ko mu sauya kundin tsarin mulki kuma mu haƙura da tsarin 'yancin yin addini ko kuma gwamnati ba za ta iya zaɓar wa al'umomin Musulmai limaman da ta tantance ba.'' A ɗakin ɗaukar hoton na birnin Paris, yayin da take ɗaukar hotunan sabuwar mujallarta, Iman Mestaoui ta shaida min cewa ta saka duka iyalanta kada wa Shugaba Macron ƙuri'a a zaɓen shekara ta 2017. Tun daga wannan lokacin, ta lura da ''babban sauyi'' a samun ƴanci kan batutuwa da suka shafi tsaro da harkokin shige-da-fice. \"Na kasance me goyon bayan Macron,\" ta ce. \"Ya kasance fatan da muke da shi a cikin al'umma, amma yanzu muna ganin an mayar da mu saniyar ware.''"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50031592", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50059527", "doc1": "তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) হাতে বর্তমানে হাজার হাজার সন্দেহভাজন আইএস সদস্য বন্দি। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার যেসব এলাকা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব এলাকায় বুধবার তুরস্ক অভিযান শুরু করার পর থেকে তীব্র বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তের দুই পাশে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তুরস্ক কুর্দিদের সন্ত্রাসী বলে দাবি করে এবং তাদের হটিয়ে সিরিয়ার সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের ভাষায় 'নিরাপদ অঞ্চল' তৈরি করতে চায়। এছাড়া বর্তমানে তুরস্কের অভ্যন্তরে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরিয়ান শরণার্থীকেও সিরিয়ার ভেতরে ঐ অঞ্চলে ফেরত পাঠাতে চায় তুরস্ক। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, একজন নারী কুর্দি রাজনীতিবিদ এবং নারী অধিকার কর্মী শনিবার উত্তর সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন। ফিউচার সিরিয়া পার্টি নামের রাজনৈতিক দলের ঐ নেতার গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িচালক ও সহযোগীসহ তুরস্কের সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার দল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, কুর্দি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে এরই মধ্যে এক লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দি প্রশাসন বলছে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কার্যত এসডিএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে উদ্যোগী হয় তুরস্ক। আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমা জোটের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল এসডিএফ। শুক্রবার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস কুর্দিদের বক্তব্য: তুরস্কের সাথে সংযুক্ত সিরিয়ার সীমান্তে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আটক থাকা আইএস বন্দিদের দিকে নজর রাখার বিষয়টি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রেদুর জেলিল নামের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। \"আইএস বন্দিদের পাহারা দেয়া এখন আর অগ্রাধিকার নয়। এই বন্দীদের আটক থাকা নিয়ে যারা চিন্তিত, তারা এসে পাহারা দেয়ার জন্য আমন্ত্রিত।\" মি. জেলিল বলেছেন, আইএস বন্দিদের পাহারা দেয়ার বদলে এসডিএফ'এর সেনারা 'আমাদের শহর এবং আমাদের জনগণ' বাঁচানোর জন্য কাজ করবে। তিনি এমনও সতর্ক করেছেন যে তুরস্কের অভিযান আইএস'কে পুনরায় জোট বাধার সুযোগ করে দিচ্ছে। \"কামিশলি এবং হাসাকেহ অঞ্চলে এরই মধ্যে আইএস পুনরায় সক্রিয় হয়েছে এবং তাদের শাখার কার্যক্রম শুরু করেছে।\" আইএস সিরিয়ায় কী করছে: কামিশলি এবং হাসাকেহ শহরে দুইটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর কুর্দিদের পক্ষ থেকে এরকম মন্তব্য এলো। ঐ দু'টি গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। শুক্রবার তুরস্কের হামলা চলাকালীন কামিশলির একটি কারাগার থেকে পাঁচজন আইএস সদস্যও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে এসডিএফ জানিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ফেনী নদী থেকে আরো পানি পাবে ভারত আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব জাপানে ভয়াবহ টাইফুনের আঘাত সিরিয়ার কোন এলাকা এখন কার নিয়ন্ত্রণে ওদিকে, শনিবার সিরিয়ায় নতুন অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে আইএস। তারা বলেছে, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আইএস-এর সদস্যদের বন্দি রাখার প্রতিশোধ নিতে তারা এই নতুন অভিযান শুরু করবে। এসডিএফ বলেছে তারা সাতটি কারাগারে ১২ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে আটকে রেখেছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত চার হাজার বিদেশি নাগরিক। এই বন্দীদের অবস্থান প্রকাশ না করা হলেও বলা হচ্ছে তাদের অনেকের অবস্থান তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। রোজ এবং আইন ইসা নামের দু'টি ক্যাম্পে - যেগুলো তুরস্কের ভাষায় 'নিরাপদ অঞ্চলের' মধ্যে রয়েছে - সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। শুক্রবার কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন জানিয়েছে যে বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ আইন ইসা ক্যাম্পটিকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্তের দুইদিকেই নিহত হয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক তুরস্ক জানিয়েছে, চলমান এই অভিযানের ফলে পালাতে সক্ষম হওয়া আইএস বন্দিদের খুঁজে পেলে তাদের দায়িত্ব নেবে তারা। অভিযানের অগ্রগতি হচ্ছে কীভাবে? অন্যতম প্রধান সীমান্তবর্তী শহর রাস আল-আইনের নিয়ন্ত্রণ দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। তুরস্ক জানায় তাদের সেনাবাহিনী এবং সিরিয়ান বিদ্রোহীদের জোট ঐ শহরের প্রধান কেন্দ্র দখল করেছে, কিন্তু কুর্দি নেতৃ্ত্বাধীন এসডিএফ বাহিনী ঐ শহরের দখল হারানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তুরস্কের অভিযানের অন্যতম প্রধান দু'টি লক্ষ্যবস্তু হলো রাস আল-আইন এবং তাল আবইয়াদ শহর। তুরস্কের মিত্র বাহিনীরা দাবি করছে তারা সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসহ এক ডজনেরও বেশি গ্রাম দখল করেছে। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এলাকায় তুরস্কের ক্রমাগত বিমান এবং স্থল হামলার শিকার হচ্ছে এসডিএফ। এসডিএফ কর্মকর্তা রেদুর জেলিল শনিবার তার বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কুর্দি যোদ্ধাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। ঐ বিবৃতিতে বিশেষ কয়েকটি এলাকায় তুরস্কের বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে দাবি জানায় তারা। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা বুধবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সীমান্তের দুই পাশেই বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৮০ জন কুর্দি যোদ্ধা মারা গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। তুরস্ক থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ তুরস্কে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। তুরস্কের সমর্থক বিদ্রোহী বাহিনীর - যারা সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি হিসেবে পরিচিত - প্রায় ৫০ জন যোদ্ধা মারা গেছেন। শনিবার অনেক ইউরোপিয়ান শহরের মত বার্লিনেও বিক্ষোভ করে মানুষ এই অভিযানের প্রতিক্রিয়া: এই অভিযান থামানোর জন্য তুরস্কের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন যে এই অভিযান চলবে। শনিবার, ফ্রান্স বলেছে যে, তারা তুরস্কে সব ধরণের অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করবে। এর আগেই জার্মানি ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা নেটো জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি সীমিত করবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে টেলিফোন করে সতর্ক করেছেন যে, তাঁর এই অভিযানের ফলে সিরিয়ায় আইএস-এর বিপক্ষে অর্জিত 'উন্নতি খর্ব হতে পারে।' কুর্দিরা এরই মধ্যে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। তারা বলছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে তারা প্রতারিত বোধ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন বলছেন যে, তার ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্র যেন তুরস্ক ও কুর্দিদের মধ্যে সমঝোতার মধ্যস্থতা করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে প্রয়োজন হলে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে প্রস্তুত তিনি। ওদিকে শনিবার প্যারিস, বার্লিনসহ ইউরোপের অনেক শহরে হাজার হাজার মানুষ তুরস্কের এই অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রকাশ করে পদযাত্রায় অংশ নেয়।", "doc2": "Watch as Syrian government forces enter town of Ain Issa A cewar wakilin Rasha na musamman a Syria Alexander Lavrentyev, Rasha ba za ta taba bari yaki ya barke a tsakanin kasashen biyu ba. Masu suka sun ce janye sojojin da Amurka ta yi ne ya ba wa Turkiyya damar cin karenta ba babbaka a yankin. Rasha na daga cikin manyan kawayen Shugaban kasar Syria Bashar al-Assad. A ziyarar da ya kai Hadaddiyar Daular Larabawa, Mr Lavrentyev ya bayyana cewa Rasha ba za ta aminta da hare-haren da Turkiyya ke kai wa ba. Ya kara da cewa jami'an Turkiyya da na Rasha na kan tattaunawa kan lamarin. Dakarun Rasha da aka girke a Syria tun a shekarar 2015 har yanzu na rangadi a yankin. Abunda ya faru kafin yanzu Makon da ya gabata ne Turkiyya ta kaddamar da hare-hare a arewacin Syria da nufin kawar da mayakan kurdawa da ake kira SDF daga yankin. Dama Turkiyya na yi wa mayakan kallon 'yan ta'adda. Hakama gwamnatin Turkiyyar na son samar da sansani a yankin da nufin maido da 'yan Syria da a yanzu ke gudun hijira a kasar. To sai dai masu suka na zargin cewa wadanda Turkiyya ke kai wa harin fararen hula ne, inda suka yi gargadin cewa Turkiyya na kokarin aikata kisan kiyashi ne. Alkaluman da majalisar dinkin duniya ta fitar sun nuna cewa an kashe gwamman fararen hula, kuma mutane 160,000 sun tsere daga muhallansu. A baya mayakan Kurdawa sun hada hannu da sojojin Amurka wurin fatattakar kungiyar IS daga Syria. A yanzu kuma sun bayyana janye sojojin Amurka da shugaba Trump ya yi a matsayin yaudara. Ana fargabar rikicin zai iya sanadiyyar sake bullar kungiyar IS a Syria. Yanzu haka ana tsare da dubbai daga cikin tubabbun mayakan kungiyar ta IS da iyalansu, kuma wasu rahotanni na cewa fadan ya yi sanadiyyar tserewar wasu daga cikinsu. Haka ma kungiyoyin agaji da dama sun dakatar da ayyukansu a yankin tare da kwashe ma'aikatansu. Yayin da matsin lamba ya yi kamari, mayakan Kurdawa sun bayyana kulla yarjejeniyar hada-hannu da gwamnatin Syria wurin mayar wa Turkiyya martani. A cewar shugaban Turkiyya, Recep Tayyip Erdogan,Turkiyya za ta ci gaba da kai hare-hare har sai ta cimma burinta a yankin. Wane irin takunkumi ne Amurka ta kakabawa Turkiyya? Amurka ta sanar da saka takunkumi kan kadarorin ma'aikatun tsaro da makamashi da kuma harkokin cikin gida na Turkiyya, bayan matsin lamba kan gwamnatin Amurka daga 'yan majalisa. Bugu da kari, Mr Trump ya sanar da karin haraji da kashi 50 tare da dakatar da yarjejeniyar dala biliyan 100 da gwamnatinsa ke kan kullawa da Turkiyya. Mr Trump ya kuma rubuta a shafinsa na Twittwe cewa ''Amurka da kawayenta sun kubutar da Syria daga kungiyar IS kuma ba za su sa ido Turkiyya ta ruguza wannan nasarar ba'' Shi ma mataimakinsa Mike Pence ya ja kunnen Turkiyya da ta kwana da sanin cewa akwai karin takunkumai, idan har ba ta gaggauta tsagaita wuta ba tare da tattauna hanyar samar da zaman lafiya mai dorewa a yankin."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53882603", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53882450", "doc1": "টিকা তৈরিতে বহু গবেষণা চলছে সারা বিশ্বে। প্রায় ছয় দশক আগে ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক নামের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার কথা ঘোষণা করেছিল। আর এখন রাশিয়া দাবি করছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাদের গবেষণার এতোটাই অগ্রগতি হয়েছে যে কোভিড-১৯ রোগের টিকা তৈরির প্রতিযোগিতাতেও তারা জিতে গেছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন এনিয়ে মস্কো বাড়াবাড়ি করছে। রাশিয়ার এই ঘোষণা নিয়ে সবাই যে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছে তাও নয়। বরং প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই দাবি করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে সারা বিশ্বে যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে সে কথাই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। শর্ট কাট রাস্তা এই প্রতিযোগিতায় শর্ট কাট রাস্তা ধরার অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগ উঠেছে গুপ্তচরবৃত্তি, অনৈতিকতা, ঝুঁকি গ্রহণ এবং ঈর্ষা-পরায়ণতার। রাশিয়ায় টিকা তৈরি সংক্রান্ত সভায় প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'টিকার জাতীয়তাবাদ' বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেছে, 'করোনাভাইরাস থেকে প্রত্যেকে নিরাপদ না হলে কেউ নিরাপদ নয়।' এই ভাইরাসের সফল কোনো টিকা তৈরি হলে বর্তমানে সেটাই হবে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ও দামী উপহার। এটা যে শুধু মানুষের জীবন বাঁচাবে তা নয়, মহামারির কারণে সারা বিশ্বে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এটি তারও অবসান ঘটাবে। \"কোনো একটি চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য এরকম তীব্র রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এর আগে আমি কখনো দেখিনি,\" বলেন প্রফেসর লরেন্স গোস্টিন, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য আইন বিষয়ক শিক্ষক। \"কোভিড-১৯ নিয়ে এতোটা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পেছনে কারণ হলো বিশ্বের সুপার-পাওয়ার বা ক্ষমতাশালী দেশগুলো এটিকে দেখছে তাদের বৈজ্ঞানিক শৌর্য বীর্যের প্রতীক হিসেবে। এর মাধ্যমে যেন তাদের রাজনৈতিক শক্তির ক্ষমতার বৈধতা পাওয়া যাবে।\" করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে সারা বিশ্বে দুশোটির মতো গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে তার মধ্যে প্রায় অর্ধ-ডজন গবেষণা পৌঁছে গেছে পরীক্ষার একেবারে শেষ পর্যায়ে। এসব গবেষণার তিনটি চলছে চীনে, একটি যুক্তরাজ্যে, একটি যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকটি জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টায়। সাধারণত একটি টিকা তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু বর্তমান মহামারিতে সব দেশই এই টিকা উদ্ভাবনের ব্যাপারে তাদের গবেষণার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্পুটনিক নামের একটি টিকা তৈরির ঘোষণা দেওয়ার পর অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে টিকা তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোন শর্ট কাট অবলম্বন করা হয়েছে কীনা। টিকা তৈরির যুদ্ধ টিকা তৈরিতে অক্সফোর্ডের গবেষণা। জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পক্ষ থকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পশ্চিমা দেশগুলোতে টিকা তৈরির ব্যাপারে যেসব গবেষণা চলছে সেগুলো হ্যাক করে সেখান থেকে তথ্য চুরি করেছে। এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। এর পরের সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস থেকে অভিযোগ করা হয় যে দুজন চীনা হ্যাকার বেইজিং-এর গোয়েন্দাদের হয়ে তাদের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা থেকে তথ্য চুরি করেছে। চীন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে তারা ভাইরাসের ব্যাপারে তথ্য শেয়ার করেছে এবং বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু টিকা আবিষ্কার করার এই দৌড়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে এটা করতে গিয়ে পরীক্ষার স্বাভাবিক যেসব প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় সেখানে কি কোন ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে? সময় কমাতে ধরা হচ্ছে শর্ট কাট রাস্তা? \"এটা নিশ্চিত যে এই প্রক্রিয়ায় শর্ট কাট করা হয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়ার ক্ষেত্রে,\" বলেন টমাস বলিকি, যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশেন্সে বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক। তিনি বলেন, \"টিকা তৈরি করা খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু সেই টিকা যে নিরাপদ ও কার্যকর সেটা প্রমাণ করাই কঠিন। কোনো দেশ যদি শুধু টিকা তৈরি করাকেই মুখ্য কাজ বলে ধরে নেয় তাহলে তারা শর্ট কাট রাস্তা নিতেই পারে।\" গবেষণার তথ্য প্রকাশ না করে এবং শেষ পর্যায়ের বড় ধরনের পরীক্ষার আগেই রাশিয়া যে তার স্পুটনিক টিকা নিবন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বে তার সমালোচনা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজে করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন এই টিকা কতোটা কার্যকর ও নিরাপদ এবং রাশিয়া সেটা কতোটা প্রমাণ করতে পেরেছে এনিয়ে তার \"গুরুতর সন্দেহ\" আছে। আস্থা তৈরির চেষ্টা এসব কথায় কান দিচ্ছে না মস্কো। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঈর্ষা পরায়ণ হয়েই তাদের টিকার ব্যাপারে এধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। টিকাটি তৈরির পেছনে যেসব গবেষক যুক্ত আছেন তারা আশ্বস্ত করেছেন যে খুব শীঘ্রই প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে তাদের গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে চীনও বলেছে যে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য তাদের গবেষণাতেও উল্লেখযোগ্য রকমের অগ্রগতি হয়েছে। কার আগে কে টিকা তৈরি করতে পারে এনিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। চীনে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো বলছে তারা যে টিকা তেরির কাজ করছে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর সেসব টিকার পরীক্ষা চালানো শুরু হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এসবের পরীক্ষায় তাদেরকে কয়েক ডোজ টিকা দেওয়াও হয়েছে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে চীনা কোম্পানিগুলো দেখাতে চায় যে তাদের তৈরি টিকার কোন ঝুঁকি থেকে থাকলে তারা সেই দায় দায়িত্ব এড়াতে চায় না এবং প্রয়োজন হলে ত্যাগ স্বীকার করতেও তারা প্রস্তুত। রাশিয়াতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার নিজের মেয়েকেও স্পুটনিকের এক ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই দুটো দেশেই সশস্ত্র বাহিনীর লোকজনের শরীরে তাদের টিকার পরীক্ষা চালানোর কথা ঘোষণা করার পর এর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এসব বাহিনীর কর্মকর্তারা কতোটা স্বেচ্ছায় ও স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। চীনা কোম্পানি ক্যানসিনো টিকা তৈরির জন্য পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে টেস্টের আগে সামরিক বাহিনীর লোকজনের ওপর এর পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে জুন মাসেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। \"মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে নীতি নৈতিকতার কিছু বিষয় রয়েছে যাতে করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা হয়রানির শিকার না হন,\" বলেন অধ্যাপক গোস্টিন। গ্রহণযোগ্যতা যে টিকার জন্য জনগণের মধ্যে এতো চাহিদা, সেটি তৈরি করতে গিয়ে শর্ট কাট প্রক্রিয়ায় কাজ করা কতোটা গ্রহণযোগ্য? পুরো পরীক্ষা সম্পন্ন না করে তাড়াহুড়ো করে কোন টিকা বাজারে ছাড়া হলে এর ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তার জের ধরে আরো অধিক সংখ্যক মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, কোনো টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তখন মানুষের মধ্যে টিকা-বিরোধী মনোভাবও গড়ে উঠতে পারে। টিকা তৈরির জন্য যেসব গবেষণা চালানো হয় তার বেশিরভাগই হয় বেসরকারি উদ্যোগে ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে। সেগুলো প্রায়শই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে এই টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। \"মহামারি মোকাবেলায় দেশগুলো কী ধরনের ভূমিকা পালন করছে সেটা দেখাতে গিয়েও কোন কোন দেশের মধ্যে এধরনের প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে,\" বলেন মি. বলিকি। একটি ল্যাব পরিদর্শন করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? ভারতে উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল আয়োজনের সুপারিশ কারিগরি কমিটির করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে? এবছরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেকারণে ট্রাম্প প্রশাসন একটা চাপের মধ্যে আছে। টিকা তৈরির প্রতিযোগী মনোভাব দেখাতে এই দেশটির মধ্যেও কোন রাখঢাক নেই। যুক্তরাজ্যে যদি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা তৈরি করা সম্ভব হয় তাহলে সেটা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারকেও কিছু বাড়তি সুবিধা দেবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ক্ষেত্রে তার সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, করোনাভাইরাস তৈরিতে ব্রিটেনের নেতৃত্ব অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয়, অন্য কোন দেশ এই টিকা তৈরিতে সফল হলে ব্রিটেন তাদের কাছ থেকে সেটা কেনার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। \"পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে টিকা তৈরির ব্যাপারে যে জাতীয়তাবাদ কাজ করছে সেটা নিশ্চিত,\" বলেন টমাস বলিকি। তিনি বলেন, \"যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেটা হলো কোন টিকা তৈরি হলে সেটার বিপুল পরিমাণ ডোজ যেন পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করা।\" অবশ্য করোনাভাইরাসের মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন সেই শক্তি আরো বেশি জোরালো হয়েছে। প্রতিযোগিতার সূচনা মহামারির শুরুর দিকে প্রতিযোগিতা ছিল যে কোন দেশ কতো বেশি ভেন্টিলটের ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই সংগ্রহ করতে পারে। এসবের চালান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশ সরবরাহকারী দেশকে কে কতো বেশি অর্থ দিতে পারে তার প্রতিযোগিতাতেও লিপ্ত হয়েছে। টিকা তৈরি হলে সেটা সারা বিশ্বে বিতরণের বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাস থেকে প্রত্যেকে নিরাপদ না হলে কেউ নিরাপদ থাকতে পারবে না। তারপরেও যেসব দেশে এই টিকাটি তৈরি হবে তার দেশের নাগরিকদের জীবন বাঁচানো ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলা যে অগ্রাধিকার পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তার পরেও যদি ওই দেশ থেকে সরকার টিকা সংগ্রহে ব্যর্থ হয় সেটা জনরোষ তৈরি করতে পারে এবং প্রশ্ন উঠতে পারে সরকারের দক্ষতা নিয়েও। বলা হচ্ছে, টিকা তৈরি হলে সেটি কূটনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান অগাস্ট মাসে টিকার এই জাতীয়তাবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে টিকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যে একটি বিশ্ব কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি ধনী দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসাস বলেছেন, \"আমাদেরকে টিকার এই জাতীয়তাবাদ ঠেকাতে হবে।\" কূটনীতির হাতিয়ার টিকা উদ্ভাবনকারী দেশ তার প্রতি অন্যান্য দেশের সমর্থন পেতে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করতে পারে। মি. বলিকি বিশ্বাস করেন, \"যেসব দেশ এই টিকা পাবে তাদের প্রত্যেক সরকারই কূটনীতির জন্য এসব টিকার কিছু অংশ রেখে দেবে।\" সবার আগে কেউ টিকা তৈরি করতে পারলেই যে তাদের টিকা সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, এটা এমন প্রতিযোগিতা নয় যাতে মাত্র একজনই বিজয়ী হবেন এবং এর কোন ফিনিশিং লাইনও নেই। অর্থাৎ এই দৌড় শেষ করার নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। এর অর্থ হলো করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি ও সরবরাহ নিয়ে ধনী ও ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে শত্রুতা ও প্রতিযোগিতা হয়তো মাত্রই শুরু হলো। আরো পড়তে পারেন: আজীবন থাকতে পারে করোনাভাইরাস, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর হুঁশিয়ারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা চার হাজারের দোরগোড়ায় দুই বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারি শেষ হওয়ার আশা কখন আসবে করোনা টিকা?", "doc2": "Shugaban Rasha Vladimir Putin na jagorantar taro kan maganin rigakafin da ƙasar ta ce ta samar Sputnik V A shekarun baya 1957, Daular Soviet ta ƙaddamar da tauraron Sputnik kuma ta sha gaban kowa. Yanzu kuma Rasha tana ikirarin shata iyaka kan kimiyar lafiya. Amma masu sukar na iƙirarin tana matsawa da yawa. Kuma shakkun da wasu suke da shi bayan sanarwar, wata tunatarwa ce ga hamayya tsakanin ƙasashen duniya. A wannan hamayya, akwai masu zargin ana bin dubaru da leƙen asiri da ɗaukar kasada da kuma hassada yayin tattauna \"kishin ƙasa kan batun rigakafin.\" Rigakafin korona yanzu ta kasance wani abu mai daraja da kuma ake nema ido rufe bayan ƙokarin likitoci a wannan zamanin. Ba wai don ceton rai ba, amma wani ƙwarin guiwa ne ga kawo ƙarshen wannan yanayi da kuma nasara ga waɗanda suka tsira. \"Ban taɓa ganin yadda siyasa kan harakar magani ta yi muni ba,\" in ji Lawrence Gostin, farfesan dokokin lafiya a duniya a Jami'ar Georgetown da ke Amurka. \"Dalilin shi ne yadda batun samar da rigakafin korona ya koma wata siyasa inda manyan ƙasashe suke ganin rigakafin wani babban tasirin siyasarsu ne ga mamayar kimiyar lafiya wanda zai tabbatar da tsarinsu a matayin wanda ya fi na kowa. A halin yanzu akwai kusan rigakafin shida da ake jiran tabbatar da ingancinsu a Hukumar Lafiya ta Duniya (WHO) da suka ƙunshi uku a China, ɗaya a Birtaniya, ɗaya a Amurka da kuma na haɗin gwiwa tsakanin Jamus da Amurka A ka'ida a kan ɗauki shekaru kafin a samar da rigakafi. Kuma yayin da ake ta hanzarin samarwa, rigakafin Rasha Sputnik ya haifar da shakku kan bin dubarun sauƙaƙa tsarin da aka saba. A watan Yuli, Birtaniya da Amurka da Canada sun zargi hukumomin leƙen asirin Rasha da yin kutse ga bincikensu na rigakafin, wani abin da gwamnatin Kremlin ta musanta. Zargin daga majiyoyin leƙen asiri a lokacin shi ne satar bayanai maimakon lalata su. Daga baya, ma'aikatar shari'ar Amurka ta zargi China da yin kutse ga aikinta samar da rigakafin. China kuma ta fito ta musanta zargin na Amurka tana mai cewa ita ta ma taimaka wa wasu aminanta na ƙasashen waje da wasu bayanai game da annobar. Babbar damuwar ita ce kauce wa wasu hanyoyin da ke kawo jinkiri ta hanyar tabbatar da ingancin magani. \"Akwai hanyoyin da yawa da ake kauce wa, musamman kan batun Rasha,\" inji Thomas Bollyky daraktan shirin kiwon lafiya na duniya a majalisar hulɗar kasashe. \"ba wahala ba ne samar da rigakafi. Amma tabbatar da ingancinsa ne ke da wahala, kuma idan ƙasashe kawai abin da ya dame su su samar da rigakafin za su iya kauce wa hanyoyin tabbatar da ingancinsa.\" Matakin Rasha na yi wa maganinta Sputnik rijista kafin babban gwajin tabbatar da shi ba tare wallafa bayanan bincikenta ya haifar suka daga ƙasashen yammaci. Dr Anthony Fauci, ɗaya daga cikin sanannun mambobi a kwamitin yaki da korona a fadar White House, ya ce \"Yana shakku\" ko Rasha ta tabbatar da ingancin maganinta, rashin illarsa da ƙarfinsa. A Moscow an ɗauki wannan shakkun da ake bayyanawa a matsayin \"hassada\". Waɗanda suka samar da rigakafin sun ce ba da daɗewa ba za su wallafa bayanan bincikensu ga mujallar lafiya ta duniya. Yayin da kuma China ta yi saurin tattara ci gabanta. Farfesa Lawrence Gostin ya ce bai taba ganin hamayyar siyasa ba kan magani irin wannan Haifar da fargaba kan rigakafi Diba da girman buƙatun jama'a kan rigakafi, shin bai dace a ɗan yanke wasu hanyoyi ba da ake tunani? Rashin saka rigakafi a matsayin gwaji, tare da gaggawar fitar da shi, zai haifar da wani babban ƙwarin-guiwa ga jama'a wanda kuma zai ƙara yaduwar cutar korona. Duk maganin da daga baya aka gano yana da illa, zai iya haifar da wata fafutikar adawa da shi. Yawancin aikin samar da rigakafi na kasuwanci ne kuma tare da haɗin guiwar kasashen duniya. Amma wannan bai hana wa gwamnatoci ɗaukarsa ba a matsayin wata alama da alfahari da nuna ƙarfin kimiya da kuma nuna wa duniya yadda suka kawo ƙarshen rikicin. Shugaba Donald Trump ya ziyarci wani ɗakin binciken rigakafin korona \"Abin da ya ja hankalin ƙasashe su dinga hamayya kan samar da rigakafi yawanci damuwa ce ta buƙatun cikin gida musamman domin nuna yadda suka ɗauki yaki da wannan annoba da muhimmanci,\" inji Mr Bollyky. Gwamnatin Trump a Amurka na fuskantar matsin lamba a yayin da ƙasar ke tunkarar zabe. Kamar Rasha ba za ta ji kunyar kwatanta maganinta ba wanda ta kira Operation Warp Speed - wato wani shirin talabijin da ake nuna Star Trek. A Birtaniya, maganin da aka samar a cikin gida zai ƙara wa gwamnatin Firaminista Boris Johnson farin jini wadda ta fuskanci ƙalubale. Sakataren harakokin kiwon lafiya, , Matt Hancock, ya ce \"Birtaniya na ci gaba da jagorantar duniya\" kan samar da rigakafi. Akwai wasu rigakafin da Birtaniya aka amince ta saya don ta yi gwajin ingancinsu don gudun kada su kasance wasu ne suka yi nasara. Amma wannan ya haifar da shakku kan wani ɓangare na hamayyar. Rigakafin kishin kasa \"Tabbas akwai rigakafi na kishin kasa tsakanin ƙasashen yammaci,\" in ji Thomas Bollyky. \"Tsarinsu… kamar yadda ake gani a Amurka da Birtaniya shi ne samar da magani da dama na rigakafin.\" Tabbas, kishin ƙasa na ci gaba tun kafin cutar korona ta kutso, amma cutar ta ƙarfafa wannan. An ga yadda ƙasashe ke rige-rigen samun na'urar numfashi da kuma kayayyakin kariya kowa na neman ya sha gaban wani ya nuna yadda ake dogaro da wasu ƙasashe wanda kuma ya haifar da ƙara bunƙasa na gida. Game da samar da rigakafi domn raba wa a duniya, waɗanda suka fara samarwa dole su mayar da hankali ga ceton rayuka da farfaɗo da tattalin arziki, haka kuma gaza samar da maganin zai haifar da fushi tsakanin jama'a da ɗiga alamar tambaya kan cancanta. Shugaban Hukumar Lafiya ta Duniya ya sake yin kira a ranar 18 ga Agusta ga ƙasashe masu arziki su taimaka wa ƙasashe matalauta da maganin rigakafi. \"muna bukatar kauce wa rigakafin kishin kasa\" inji shi. Kasancewa na farko da ya fara sayar da rigakafin a kasuwa ba lalle ya kasance rigakafin shi ne ya fi ƙarfin inganci kuma masana sun bayyana shakku cewa wannan ba hamayya ba ce a samu jagora ɗaya da ya kammala."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54788555", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-54351142", "doc1": "যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঘটেছে অনেক নাটকীয় ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা অন্য সব দেশের চেয়ে বেশ আলাদা। তবে সবসময়েই এই নির্বাচন সরলভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রায় আড়াইশো বছরের মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ এবং নাটকীয় ঘটনা। ইতিহাস থেকে এখানে সেরকম কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো: দুই বছর ধরে ভোটগ্রহণ নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভস তথ্য অনুযায়ী, সদ্য তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ী ১৭৮৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৭৮৯ সালের ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত, ২৫ দিন ধরে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই একবারই দুই ক্যালেন্ডার বছরজুড়ে নির্বাচন হয়েছিল। তখনকার ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোট ছিল ৬৯টি, এখন যা ৫৩৮টি। তখনকার নিয়ম অনুযায়ী, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব অনুসারে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ প্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন। প্রত্যেক ইলেকটর আলাদা দুইজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একটি করে ভোট দিতেন। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, এরপরে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তখন একেকটি অঙ্গরাজ্যে একেকভাবে ইলেকটর নির্বাচন করা হতো। যেমন পাঁচটি রাজ্যে আইন প্রণেতারা তাদের নির্বাচিত করতেন, বাকি ছয়টি রাজ্যে খানিকটা বেশি ভোটের ভিত্তিতে তাদের নির্বাচন করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা হিসাবে জর্জ ওয়াশিংটন সবগুলো ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জন অ্যাডামস ৩৪টি ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। হোয়াইট হাউজ সমান ভোট ১৮০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, প্রথমবারের মতো দলগতভাবে সেখানে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন এবং অ্যারন বার। আর ফেডারেলিস্টদের প্রার্থী ছিলেন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস আর চার্লস সি পিঙ্কনি। রিপাবলিকানরা চাইছিলেন যে, তাদের দুই প্রার্থীর মধ্যে জেফারসন কিছু ভোট বেশি পাবেন আর অ্যারন বার একটি হলেও কম। তাহলে একজন প্রেসিডেন্ট, আরেকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে দুইজনের ভোট সমান, ৭৩ ভোট হয়ে যায়। কারণ তখনো নির্বাচকরা দুইটি করে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন। ফলে কে প্রেসিডেন্ট হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার গিয়ে পড়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের ওপর। যেখানে সেই সময়ের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের একটি করে ভোট। বিজয়ী হতে হলে একজনকে অন্তত নয়টি রাজ্যের ভোট পেতে হবে। কিন্তু জেফারসন আটটি অঙ্গরাজ্যের ভোট পান। কারণ তার বিরোধী ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিরা অ্যারন বারকে সমর্থন করেছিল। সাতদিন ধরে ৩৫ দফা ভোটাভুটিতেও কোন সমাধান আসেনি। শেষ পর্যন্ত অ্যালেকজান্ডার হ্যামিলটন কয়েকজন ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিকে জেফারসনকে সমর্থন করাতে রাজি করাতে সক্ষম হন। টমাস জেফারসন প্রেসিডেন্ট হন আর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান অ্যারন বার। সেই নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী আনা হয় যে, প্রত্যেক ইলেকটরকে আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? জো বাইডেন: এবারের দৌড় হোয়াইট হাউসের জন্য দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে প্রথম নির্বাচন পরবর্তীতে আরও দুইবার হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়েছে। ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে চারজন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন। তাদের মধ্যে অ্যান্ড্রু জ্যাকসন সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট)। অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজেও তিনি বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ইলেকটোরাল কলেজের যতগুলো ভোট দরকার, তা তিনি পাননি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তায় হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের ওপর, যাকে বলে 'কনটিনজেন্ট ইলেকশন'। কংগ্রেসম্যানরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন আর সেনেটররা নির্বাচন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভ সদস্যরা তাদের মোট প্রতিনিধির হিসাবে নয়, একেকটি অঙ্গরাজ্যের হিসাবে একটি করে ভোট দেবেন। সেই ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন জন কুইন্সি অ্যাডামস। কারণ নির্বাচনে চতুর্থ হওয়া (হাউজ স্পিকার) হেনরি ক্লের সমর্থকরা অ্যাডামসকে ভোট দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একমাত্র সেবারই সাধারণ ভোট ও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাধিক্য থাকার পরেও পরাজিত হয়েছিলেন কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। এরপরে অবশ্য ১৮৩৬ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত হয়েছিল সেনেটের ভোটে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচনের পরে গৃহযুদ্ধ ১৯৬০ সালের নির্বাচনের সময় রিপাবলিকানরা দাসপ্রথা অবসানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে দক্ষিণের রাজ্যগুলো ছিল দাসপ্রথার পক্ষে। রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট পদে আব্রাহাম লিঙ্কনকে মনোনয়ন দেয়। তবে ডেমোক্র্যাটরা স্টিফেন এ ডগলাসকে মনোনয়ন দেন। দক্ষিণের ডেমোক্র্যাটরা আলাদাভাবে মিলিত হয়ে ব্রেকিংরিজকে তাদের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে। কন্সটিটিউশনাল ইউনিয়ন পার্টি নামের আরেকটি নতুন দল জন বেলকে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। উত্তরের সব রাজ্যে ভোট পেয়ে লিঙ্কন নির্বাচিত হন। দক্ষিণের সবগুলো রাজ্যের ভোট পান ব্রেকিংরিজ। নির্বাচনের ফলাফলের ভেতর দিয়ে যেন উত্তর আর দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মতভেদ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এর পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়, আরও ছয়টি রাজ্য তাদের অনুসরণ করে। ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসব রাজ্য মিলে জেফারসন ডেভিসকে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। পরে আরও চারটি রাজ্য তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। শুরু হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ। কমিশন করে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ ১৯৭৬ সালের নির্বাচনকে বলা হয় আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচন। রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করেছিল রাদারফোর্ড বি হেইসকে আর ডেমোক্র্যাটরা মনোনীত করেছিল স্যামুয়েল জে টিলডেনকে। নির্বাচনে মি. টিলডেন মি. হেইসের চেয়ে দুই লাখের বেশি ভোট পান। ইলেকটোরাল কলেজের ভোটও তিনি পেয়েছিলেন ১৮৪টি, আর মি. হেইস পান ১৬৫টি। নির্বাচিত হওয়ার জন্য মি. টিলডেনের দরকার ছিল এক ভোট আর হেইসের দরকার ছিল ২০টি ভোট। বাকি যে ২০টি ভোট ছিল, উভয় দলই দাবি করেছিল যে, সেগুলো তারা পেয়েছে। কিন্তু এই ভোট কাদের ঘরে যাবে? সংকট সমাধানের জন্য একটি আইন পাস করে ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিশন গঠন করা হয়, যার মধ্যে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের পাঁচজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন সদস্য থাকবেন। তবে সেখানেও দেখা যায়, কংগ্রেসের সদস্য আর বিচারপতি মিলিয়ে রিপাবলিকান হয়ে গেছেন আটজন আর ডেমোক্র্যাট সাতজন। শেষ পর্যন্ত কমিশনের ৮-৭ ভোটের ব্যবধানে ২০টি ইলেকটোরাল ভোট মি. হেইসকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ১৮৫-১৮৪ ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাদারফোর্ড বি হেইস। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিদ্ধান্ত ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট আল গোর পেয়েছিলেন ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোট আর রিপাবলিকান বুশ পেয়েছিলেন ২৪৬ভোট। শুধুমাত্র ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ২৫টি ভোট বাকি ছিল। সেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান এতো কম ছিল, যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে ভোট গণনা চলছিল। সেই সময় ফ্লোরিডার গভর্নর ছিলেন জর্জ বুশের ভাই জেব বুশ। ২৬শে নভেম্বর তিনি ঘোষণা দেন, ফ্লোরিডার ইলেকটোরাল ভোট জর্জ বুশের পক্ষে যাচ্ছে। পুনরায় গণনার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট ৫-৪ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে ভোট পুনঃগণনা বন্ধের আদেশ দিয়ে বুশকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করার রায় দেন। বেশি ভোট পেয়েও পরাজয় বেশি ভোট পাওয়ার পরেও কোন প্রার্থীর পরাজয়ের ঘটনা সেটাই শেষ ছিল না। ১৮৭৬ সালে, ১৮৮৮ সালে, ২০০০ এবং ২০১৬ সালে যে প্রার্থী জনগণের ভোট বেশি পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট), ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি। অনেকবার ইলেকটোরাল কলেজের ভোটিং পদ্ধতির বাইরে জনভোটের বিচারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তাব আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসে, কিন্তু কোনবারই তা পাশ হয়নি। নভেম্বরের মঙ্গলবার আগে নানা দিনে ও অনেক সময় ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৮৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি বিল পাস করা হয়, যেখানে নির্ধারণ করে দেয়া হয় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। এর আগে ডিসেম্বর মাসের প্রথম বুধবারের আগের ৩৪ দিনের যেকোনো সময় রাজ্যগুলো ভোটাভুটি করতে পারতো। কিন্তু আগাম ফলাফল জেনে যাওয়ার কারণে, যেসব রাজ্যে পরে নির্বাচন হতো, সেখানে প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা দিতো। এ কারণে নতুন আইনটি পাস করা হয়। কিন্তু নভেম্বর মাসের মঙ্গলবারেই কেন? ইতিহাসবিদ ইভান অ্যান্ড্রুসের তথ্য অনুযায়ী, সেই সময়ে বেশিরভাগ আমেরিকান কৃষিকাজ করতো এবং নির্বাচন কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বসবাস করতো। রবিবার সবাই গির্জায় সময় কাটাতো আর বুধবার ছিল কৃষকদের বাজারের দিন। এ কারণে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয় যাতে কৃষকরা রবিবারের প্রার্থনার পর সোমবার ভোটের জন্য রওনা দিতে পারেন। আবার মঙ্গলবার ভোট দিয়ে তারা হাট করে ফিরতে পারেন। আর নভেম্বর মাস? বসন্ত এবং গ্রীষ্মের সময়টায় ফসল বোনা হয়। সেই সময়ে নির্বাচন হলে চাষাবাদে সমস্যা তৈরি করে। আবার হেমন্তে ফসল তোলার সময়। নভেম্বর মাস নাগাদ কৃষকদের ফসল তোলা শেষ হয়ে যায়। আবার কঠিন, প্রচণ্ড শীত নামার আগে এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আইন প্রণেতারা নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলেন। আরো খবর: অস্ট্রিয়ায় বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী 'সন্ত্রাসী' হামলা ধর্ম অবমাননার গুজবে সহিংসতা, সরকার পরিস্থিতিকে যেভাবে দেখছে বাংলাদেশে সরকারিভাবে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন যারা মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়ের বিয়ে রুখতে আইন চাইছে বিজেপি মৃত যমজ সন্তানদের বুকে নিয়ে বিচার চাইতে আদালতে গেলেন পিতা", "doc2": "Tun kafin a je ko'ina, 'yan takarar biyu suka far wa juna, inda suka kaure da baƙaƙen maganganu da zage-zagen juna. Mr Biden ya bayyana Shugaba Trump a matsayin \"shashasha\" sannan ya ce masa \"rufe bakinka\". Mr Trump ya bijiro da batun shan ƙwayoyin ɗan gidan Biden. Ra'ayoyin jama'a sun nuna cewa Mr Biden ya yi nasara a muhawarar da kashi 48, yayin da Mr Trump ya samu kashi 41, sannan kashi 10 suka ce 'yan takarar biyu sun yi kankankan. Babban ɗan jarida Chris Wallace na tashar talabijin na Fox ne ya jagoranci muhawarar, kuma ya tambayi 'yan takararar tambayoyi shida-shida cikin batutuwa shida, inda aka ba su minti 15 domin amsa tambayoyin da mayar da martani. Mutane ƙalilan ne aka bari suka halarci zaman, ciki har da iyalan 'yan takarar na kusa da su. Matar Mista Trump Melani da matar Joe Biden Jill sun harci muhawarar. Ba a amincewa wadanda ke cikin ɗakin taron yin magana ko shewa ba domin nuna goyon bayansa ga wanda suke goyoin baya. Saboda cutar korona an hana 'yan takarar gaisawa da juna, kuma an tabbatar da tazara tsakaninsu. Wannan ce muhawara ta farko cikin ukun da za su yi gabanin zaɓen shugaban Amurka ranar 3 ga watan Nuwamba. Tambayar farko: Kotun Ƙolin Amurka Wanda ya jagoranci muhawara, ɗan jarida Chris Wallace ya buɗe muhawarar da tambayarsu dalilin da ya sa za a amince ma Mista Trump ya naɗa sabuwar alƙalin Kotun Ƙolin Amurka da za ta maye gurbin wadda ta mutu ana daf da zaɓe. Mista Trump: \"Saboda mu ne muka lashe zaɓen shugaban ƙasa. Cin zabe na da tasiri.\" \"Mu ne muka lashe zaɓen saboda haka mu ke da damar naɗa alkalin kotun ƙolin\". Amma Mista Biden ya buƙaci a ƙyale Amurkawa su bayyana ra'ayinsu a lokacin wannan zaɓen, inda ya ce wanda ya lashe zaɓen ne ke da hurumin naɗa sabuwar alkalin. \"Wannan ce kawai hanyar da Amurkawa za su iya bayyana ra'ayinsu - ta zabar wanda suka amince ya jagoranci kasar nan a mukamin shugaban kasa da mataimakinsa.\" Trump ya kara da Chris Wallace Amma ba a jima ba abubuwa suka rincaɓe, bayan da Chris Wallace ya sanar da Mista Trump cewa bai bayyana shirin samar da kiwon lafiya da ya ce zai bayyana ba wanda ya daɗe yana gaya wa Amurkawa zai yi tun hawan sa karagar mulki. Mista Trump ya amsa da cewa: \"Na yi mana. Lallai na yi.\" \"Ni ne mai jagorantar wannan muhawarar kuma ina buƙatar ka da ka amsa tambayar da na yi maka,\" in ji Mista Wallace, kuma ya soki wata dokar shugaban kasa da Mista Trump ya rattaba hannu a kai a farkon wannan watan. Daga nan ne fa Mista Trump ya mayar wa Mista Wallace da magana, \"Da alama ni da kai za mu yi wannan muhawarar, ba ni da Joe Biden ba, amma ba komai.\" Biden ga Trump - 'Rufe mana baki, Mallam' A ɗaya ɓangaren kuwa, shi ma Joe Biden ya fusata da halayyar Mista Trump ta cin dunduniyarsa yayin da yake magana da kuma yadda yake ƙoƙarin amsa tambayar da aka yi masa. Lamarin ya kai ga sai da Joe Biden ya cewa Mista Trump: \"Rufe mana baki kai wannan mutumin,\" kuma ya ƙ ara da cewa \"Ci gaba da ɓaɓatu Malam\". Covid-19 - tasirin annobar korona Yayin da aka tabbatar cewa fiye da mutum miliyan bakwai ne suka kamu da cutar a Amurka, kuma fiye da mutum 200,000 sun rasa rayukansu, Wallace ya tambayi 'yan takarar abin da kowannensu zai yi a shekara mai zuwa domin kawo ƙ arshen annobar. Mista Biden ya ce: \"Shugaban ƙasar nan ba shi da shirin tunkarar matsalar.\" Chris Wallace ne ya jagoranci muhawarar Wallace ga 'yan takarar: Ku daina cacar-baki Bayan sa'a guda da fara muhawarar - wadda cacar-baki da taƙaddama da zage-zage suka mamaye - Chris Wallace ya roki 'yan takarar biyu su saka wa bakunansu linzami. \"Haba malamai! Na ƙ i jinin ɗaga muryata, saboda haka ya zan iya bambanta kaina da ku?\" Ya kuma ce kasar za ta fi amfana idan suka nuna dattaku. Amma duk da haka sai da Mista Trump ya katse shi, lamarin da ya tilasta masa cewa shi ne babban mai laifi idan aka kwatanta shi da Mista Biden. 'Na biya miliyoyin daloli na haraji' Kan batun tattalin arziki kuwa, an taɓo batun harajin Mista Trump. Wallace ya tambayi Trump kai tsaye: \"Da gaske ne $750 kacal ka biya a matsayin haraji a shekarar 2017 da 2016? \"Miliyoyin daloli na biya\", in ji Trump. \"Na biya dala miliyan 38 a shekara ɗaya, a wata shekarar kuma na biya dala miliyan 27.\" Sai dai Biden ya ƙalubalance shi da ya bayyana harajin nasa, kuma Trump ya ce za ka ga bayanan bayan an kammala aiki a kansu. Ra'ayin jama'a: Biden ne ke kan gaba. Amma Amurka ce ta yi rashi. Wani ra'ayin jama'a da tashar talabijin ta CBS News da BBC News suka gudanar jim kadan bayan an kammala muhawarar ya tabbatar da JOe BIden a matsayin wanda yayi nasara a wannan muhawarar ta farko. Kashi 48 cikin 100 na wadanda aka tambaya sun ce Biden ne ke kan gaba, kashi 41 cikin 100 kuwa sun ce Trump ne ya lashe muhawarar, inda kashi 10 cikin 100 suka ce babu wanda ya sami galaba cikin 'yan takarar biyu. Amma masu sharhi kan al'amuran siyasar Amurka na ganin wannan ƙazamar muhawara ce da ta raunata Amurka - kuma wannan ya tabbatar da ra'ayin al'ummar ƙasar da aka ɗauka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53088162", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53090723", "doc1": "ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে শীঘ্রই প্রকাশিতব্য বইটিতে মি. বোল্টন দাবি করেছেন, ট্রাম্প চেয়েছিলেন চীন মার্কিন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য কিনুক। 'দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেনড' নামে বইটি ২৩শে জুন প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ বলেছিল বইটিতে 'টপ সিক্রেট' তথ্য এবং বর্ণনা রয়েছে, যা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। তবে মি. বোল্টন সেসময় তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। মি. ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের ক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, তা মি. বোল্টনের বইটিতে স্থান পেয়েছে। শি জিনপিংকে নিয়ে কী রয়েছে বইটিতে? অভিযোগটি উঠেছে মূলতঃ জাপানের ওসাকায় গত বছরের জুনে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মি. ট্রাম্প এবং মি. শির মধ্যে হওয়া এক বৈঠক নিয়ে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নতুন বইটির সারসংক্ষেপে মি. বোল্টন দাবি করেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছিলেন, কিছু মার্কিন সমালোচক চান চীনের সঙ্গে যাতে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন মি. ট্রাম্প ভেবেছিলেন মি. শি হয়তো তার ডেমোক্রেটিক প্রতিপক্ষের কথা বলছেন। মি. বোল্টন বলেছেন, \"এরপর বিস্ময়করভাবেই মি. ট্রাম্প আলোচনা ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে ঘুরিয়ে দেন। চীনের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করে মি. ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার জন্য মি. শি'র সাহায্য চান।\" \"তিনি কৃষকদের গুরুত্বের ওপর এবং দেশটি থেকে চীনের সয়াবিন ও গম ক্রয়ের বর্ধিত হারের ওপর বারবার জোর দিচ্ছিলেন,\" মি. বোল্টন বলেন। এরপর মি. শি যখন বাণিজ্য আলোচনায় কৃষি উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন, মি. ট্রাম্প তখন তাকে 'চীনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নেতা' বলে মন্তব্য করেন। বই বিতর্ক সংবাদদাতারা বলছেন, নতুন বইয়ের তথ্য মি. ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই বইটির প্রকাশনা আটকে দেবার চেষ্টা করছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের অভিযোগ বইটিতে 'ক্লাসিফায়েড' অর্থাৎ 'রাষ্ট্রীয়' গোপনীয় তথ্য রয়েছে। এদিকে, বইটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা ধরণের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট লাইথিজার মি. বোল্টনের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, \"চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঐ আলোচনায় দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি।\" জানুয়ারিতে ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপে ফেলার জন্য সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের অভিযোগে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এবং রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে কোন সাক্ষীর বক্তব্য ছাড়াই দুই সপ্তাহব্যাপী ট্রায়ালের পর নিষ্কৃতি পান মি. ট্রাম্প। ২০১৮ সালের এপ্রিলে হোয়াইট হাউজে যোগ দেন মি. বোল্টন, একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি জানান যে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে মতানৈক্য হবার কারণে তাকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে।", "doc2": "Sabon littafin Mr Bolton yana kunshe da manyan zarge-zarge. Mr Bolton ya ce Mr Trump yana so China ta sayi amfanin gona daga wurin manoman Amurka, a cewar littafin da zai fito nan gaba wanda kafofin watsa labaran Amurka suka yi sharhi a kansa. Ya kara da cewa Mr Trump \"bai san komai ba kan yadda za a tafiyar da fadar White House\". Gwamnatin Trump tana ta kokarin ganin littafin bai fita kasuwa ba. A tattaunawarsa da Fox News, Mr Trump ya ce Mr Bolton: \"Ya karya doka. Wannan bayani ne na sirri da bai kamata ya fito fili ba kuma ba shi da izinin fitar da shi.\" \"Mutum ne maras kan gado,\" in ji shugaban kasar inda ya kara da cewa \"na ba shi dama.\" John Bolton ya zama mai bai wa shugaba kasa shawara kan sha'anin tsaro a watan Afrilun 2018 sannan ya ajiye aiki a watan Satumbar 2019. Amma Shugaba Trump ya ce korar Mr Bolton ya yi saboda ba ya bin \"muradu\" irin nasa. Ya yi suna wajen tsattsauran ra'ayi game da shirin kasar kan harkokin kasashen waje kuma ya taba yin aiki a gwamnatin Shugaba George W Bush. A matsayinsa na mai bai wa shugaba kasa shawara kan sha'anin tsaro, shi ne babban mai bayar da shawara ga shugaban Amurka kan harkokin tsaro a ciki da wajen kasar. Littafin na Mr Bolton mai shafi 577, mai suna The Room Where It Happened, zai fita kasuwa ranar 23 ga watan Yuni. Ranar Laraba da daddare, ma'aikatar shari'ar Amurka ta nemi kotu ta hana fitar da littafin. Kamfanin da ya buga littafin, Simon & Schuster, ya fitar da sanarwar da ke cewa: \"Matakin da gwamnati ta dauka a daren nan na rashin kan gado ne, cike da siyasa wanda ba zai yi tasiri ba.\" Ya ce tuni aka rarraba dubban kwafe-kwafe na littafin ga kasashen duniya kuma matakin da ke son hana fitar da shi ba zai cimma komai ba. Dan takarar shugabancin Amurka na jam'iyyar Democrat a zaben da za a yi a watan Nuwamba, Joe Biden, ya fitar da sanarwa game da littafin inda ya ce: \"Idan har abubuwan da ke cikin littafin gaskiya ne, ba kawai rashin ya kamata ba ne kawai, batu ne da ke nuna cewa Donald Trump ya keta rantsuwar da ya sha ta bautawa Amurkawa.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53685000", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-53776878", "doc1": "নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন, যিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত, যদিও তিনি গত শতাব্দীর ৭০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। নির্বাচনের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে জনমত যাচাইকারী কোম্পানিগুলো সারা দেশে লোকজনের পছন্দ অপছন্দ জানতে ততোই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ভোটারদের তারা প্রশ্ন করছে তারা কোন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে আগ্রহী। প্রার্থীরা জাতীয়ভাবে কে কেমন করছেন? সারা দেশে জনপ্রিয়তার দৌড়ে কোন প্রার্থী কতোটা এগিয়ে আছেন সে বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত জরিপ বা সমীক্ষা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। তবে এসব জরিপ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আগে থেকে আন্দাজ করা কঠিন। উদাহরণ হিসেবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই নির্বাচনের আগে জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে তিনি ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হেরে যান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ নির্বাচনী ব্যবস্থা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির কারণে এরকম হয়েছে। ফলে বেশি ভোট পেলেই নির্বাচনে জয়ী হবেন সেটা সবসময় নিশ্চিত করে বলা যায় না। এবছর জাতীয় পর্যায়ে যতো জরিপ হয়েছে তার বেশিরভাগ ফলাফলেই জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন। গত কয়েক সপ্তাহে যেসব জরিপ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মি. বাইডেনের প্রতি সমর্থন ৫০% এর কাছাকছি। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন ১০ পয়েন্টে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েকদিনে এই দূরত্ব কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। চৌঠা আগস্টের জরিপে দেখা যচ্ছে জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন যেখানে ৪৯%, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেছনে সমর্থন ৪৫%। গত নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প কার অবস্থান কোথায় এই চিত্রটা ততোটা পরিষ্কার ছিলো না। এবার দুই প্রার্থী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি, কোথাও কোথাও ৫% থেকে ১০%। অথচ ২০১৬ সালের জনমত জরিপগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে ব্যবধান ছিলো সামান্য কিছু পয়েন্ট। ফলাফল নির্ভর করবে কোন কোন রাজ্যের ওপর? গত নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয় থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে কোন প্রার্থী কতো বেশি ভোট পেয়েছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন রাজ্যে কোন প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন। সাধারণত বেশিরভাগ রাজ্যেই সবসময় একই রকমের ভোট পড়ে। কিছু ‍কিছু রাজ্য আছে যেখানে দুজন প্রার্থীর যে কেউ বিজয়ী হতে পারেন। এসব রাজ্যেই নির্ধারিত হবে কে নির্বাচনে জয়ী আর কে পরাজিত হবেন। জয় পরাজয়ের যুদ্ধটা হয় সেখানেই আর তাই এসব রাজ্যকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটস। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোন রাজ্যের কতো ভোট সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। ২০২০র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে রাজ্যগুলোকে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট রয়েছে টেক্সাস রাজ্যের- ৩৮। ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে তাকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। তাই প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে থাকেন। ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে কে এগিয়ে বর্তমান জরিপের ফলাফল জো বাইডেনের পক্ষে। কিন্তু নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি। যে কোন সময় এই ফলাফল দ্রুত বদলে যেতে পারে। জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মি. বাইডেন মিশিগান, পেনসালভেনিয়া এবং উইসকন্সিন রাজ্যে এগিয়ে আছেন। এই তিনটি শিল্প এলাকা। এসব রাজ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ১% এরও কম ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখনকার জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব রাজ্যে এগিয়ে আছেন সেগুলো হচ্ছে – জর্জিয়া, আইওয়া এবং টেক্সাস। কিন্তু এখানে ব্যবধান খুব সামান্য। গত নির্বাচনেও এসব রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ব্যবধান ছিল আরো অনেক বেশি। জো বাইডেন এগিয়ে আছেন যেসব রাজ্যে: অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসালভেনিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকন্সিন। জো বাইডেনের জন্যে ভালো খবর হচ্ছে এসব রাজ্যে তিনি বড় রকমের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসব রাজ্যের অধিকাংশগুলোতেই ব্যপক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মি. ট্রাম্প। কিন্তু এসব রাজ্যে এখন এগিয়ে গেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এখন এটাই দুশ্চিন্তার কারণ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে রয়েছে প্রবল বিতর্ক। ২০১৬ সালের নির্বাচনে আইওয়া, ওহাইও এবং টেক্সাসে তিনি ৮% থেকে ১০% ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন জো বাইডেনের সাথে তার অবস্থান প্রায় সমান সমান। এসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন গত জুলাই মাসে তার নির্বাচনী প্রচারণার দলের ম্যানেজার বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও মি. ট্রাম্প এসব জনমত জরিপকে প্রায়শই ‘ভুয়া’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। বেটিং কোম্পানিগুলো অবশ্য এখনই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাতিল করে দিচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছে, তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখনও এক তৃতীয়াংশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে কিছু তথ্য ২০২০ নির্বাচনে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রভাব ফেলবে? স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তরাষ্ট্রকে কী দিতে চান ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থীরা? করোনাভাইরাসের কারণে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেছে? এ বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম দখল করে আছে করোনাভাইরাস। মহামারির পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে কথা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব ব্যবস্থা নিয়েছেন তার পক্ষে সমর্থন তুঙ্গে ওঠে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে। তখন তিনি সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন এবং ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজ্যগুলোর জন্য ঘোষণা করেছিলেন পাঁচ হাজার কোটি ডলার। শীর্ষস্থানীয় একটি জরিপ কোম্পানি ইপসসের হিসেব অনুসারে সেসময় ৫৫% আমেরিকান তার গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাট দলের যারা তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন পরে তারা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখেন। তবে অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে তার গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করছে। সর্বসাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরাও এখন তার নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তারা সমালোচনায় সরব হয়েছে। জুলাই মাসের শুরুতে তার প্রতি রিপাবলিকানদের সমর্থন কমে ৭৮%-এ নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো একারণে করোনাভাইরাস সম্পর্কে তার বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। শুরুতে তিনি বলেছিলেন এই ভাইরাস একসময় “আপনা আপনি চলে যাবে” কিন্তু এখন তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, “পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে মহামারি আরো খারাপ রূপ” নিতে পারে। শুধু তাই নয়, এর আগে তিনি মাস্ক পরার সমালোচনা করতেন কিন্তু এখন তিনি নিজেই মাস্ক পরছেন। এবং আমেরিকানদের প্রতি মাস্ক পরার আহবান জানিয়ে “দেশপ্রেমের” পরিচয় দেওয়ার কথা বলছেন। ৩রা নভেম্বর ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন যে তারা হোয়াইট হাউসে মি. ট্রাম্পকে আরো চার বছরের জন্য দেখতে চান কিনা। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মডেল অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে অর্থাৎ ১লা নভেম্বরের মধ্যে করোনাভাইরাসে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এসব জরিপ কি আমরা বিশ্বাস করতে পারি? আগের নির্বাচনের জনমত জরিপ ভুল প্রমাণ হয়েছিল- এটা বলে আমরা খুব সহজেই এসব সমীক্ষা বাতিল করে দিতে পারি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও প্রায়শ একাজটা করে থাকেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য নয়। বেশিরভাগ জাতীয় জরিপে হিলারি ক্লিনটনকে সামান্য পয়েন্টে এগিয়ে রাখা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তারা ভুল করেছে। এটাতো ঠিক যে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। আগের নির্বাচনের জনমত জরিপগুলোতে কিছু সমস্যা ছিলো। সেসব জরিপ ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবার তাদের সেই ত্রুটি কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু তারপরেও এবারের পরিস্থিতি আরো কঠিন, আরো অনিশ্চিত। এর কারণ করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং নভেম্বরে মানুষের ভোটের ওপর এই মহামারি কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। কেননা নির্বাচনের এখনও আরো কয়েক মাস বাকি।", "doc2": "Shugaba Trump na Republican zai fuskanci Joe Biden wanda Jam'iyyar Democrats ta tsayar. Mista Biden ya yi fice ne a matsayin mataimakin tsohon Shugaba Barack Obama, ko da yake tun shekarun 1970 yake siyasa a Amurka. Yayin da zaɓe ke sake karatowa, kamfanonin da ke tattara ƙuri'un jin ra'ayi za su yi kokarin jan hankulan mutane ta hanyar tambayarsu wane ne ɗan takararsu. Za a ci gaba da sa ido a kan irin waɗannan ƙuri'u da ƙoƙarin fito da ra'ayoyin mutane kan hasashensu kan wanda zai lashe zaɓen. Wane yanayi 'yan takarar shugabancin ke ciki a ƙasar? Ƙuri'ar jin ra'ayi na kasa na da muhimmanci wurin sanin yadda ɗan takara ya yi fice, amma ba wai lallai hakan ya kasance hanyar iya hasashe ko sanin yadda sakamakon zabe zai kasance ba. A 2016, misali, Hillary Clinton ke kan gaba a irin wannan ƙuri'a domin tana da ƙuri'u kusan miliyan uku sama da Donald Trump, sai dai duk da hakan ta yi rashin nasara - saboda Amurka na amfani da tsarin Electoral College wato kwamitocin masu zaben shugaban kasa, don haka yawan kuri'a ba ita ce nasarar zabe a kasar ba. Da wannan a bangare guda, Joe Biden shi ke gaban Donald Trump a kuri'un jin ra'ayin 'yan kasa a kusan wannan shekarar. Ko a makonnin baya-bayan nan yana gaban shugaban da kashi 50 cikin 100, a wasu lokutan bambancin yana kai wa da maki 10. Waye kan gaba a zaɓukan ƙasa? YAN DEMOCRAT BIDEN 52% YAN REPUBLICAN TRUMP 44% Layin da ke nuna abin da kowane ɗan takara ya samu ƙuri'ar jin ra'ayin mutane Matsakaicin kudurin jefa ƙuri'a bisa kuri'ar mutum 30 days until Ranar Zaɓe Ƙuri'ar BBC ta jin ra'ayin jama'a ta duba kuri'ar mutane a kwanaki 14 da suka gaba da kuma ƙirƙirar abin da ke jan hankali ta hanyar amfani da wani tsari, wato auna darajar tsakiya a cikin lambobi. Idan aka ba da misali, a 2016 kuri'un sun kusan zuwa guda saboda kaso kalilan ne ya raba Mista Trump da abokiyar hamayyarsa a lokacin Hillary Clinton, yayin da zabe ka sake karatowa. Wacce jihar ce za ta yanke hukunci kan zaben? Kamar yadda Misis Clinton ya gano a 2016, adadin kuri'un da za ka samu a lokacin zabe bai kai muhimmanci yankunan da za ka lashe ba. Galibin Jihohi na zabe ta hanya iri guda, ma'ana akwai damamaki da dan takara ke da ita a jihohi na lashe zabe. Wadanan su ne wuraren da ake lashe zabe ko rashin nasara sannan su ake kira filin daga ko mu ce jihohin da aka fi fafatawa. Tsarin kwamitocin zabe da Amurka ke amfani dashi a zaben shugaban kasa, kowacce jiha ana ware mata adadin kuri'unta kan yawan al'ummarta. Kwamitocin zabe 538 ake rige-rigen samun nasara, don hakan dole dan takara ya lashe 270. Kamar yadda taswirar sama ke nunawa, jihohin da ake bayyanawa da filin daga, kuri'unsu na zabe a kwamiti ya fi yawa, don haka dan takara kan bata lokaci a wadanan jihohi waje gangamin neman nasara. Wa ke kan gaba a jihohin da aka fi fafatawa? A halin yanzu, kuri'un jin ra'ayi a jihohin da aka fi fafatawa sun nuna tauraron Joe Biden na haskawa, sai dai akwai sauran tafiya nan gaba kuma abubuwa na iya sauyawa cikin hanzari, musamman idan wanda ya shafi Donald Trump ne. Kuri'un sun nuna cewa Mista Biden na ke kan gaba sosai a Michigan da Pennsylvania da Wisconsin - jihohi uku da abokin hamayyarsa na Republican ya lashe da kasa da kashi guda a 2016. Matsakaiciyar ƙuri'ar jin ra'ayin jam'a ta baya-bayan nan kan jihohin da aka fi fafatwa Sabunta na'urarku don ganin cikakken bayanin Bayanai: US Census Lokaci na baya-bayan nan da aka sabunta alkaluma 03/11 Sai dai jihohin da Mista Trump ya lashe sosai a 2016 ne abin da tawagar yankin neman zabensa za su fi nuna damuwa a kai. A jihohin Iowa da Ohio da Texas ya yi nasara da kashi 8 zuwa 10 cikin 100 a wancan lokacin, amma yanzu kusan kai da kai suke tafiya da Mista Biden. Alkaluman wadanan kuri'u na iya taimakawa wajen bayyana matsayinsa na maye gurbin manajan kamfe dinsa a watan Yuli da yawan ambatar batun ''labaran boge''. Kasuwar caca, har yanzu dai basu fida rai kan Mista Trump ba zuwa yanzu. Sabbin hasashensu a yanzu na bashi nasara da kashi 1 cikin 3 a zaben watan Nuwamba. Coronavirus ta yi tasiri ga Trump? Annobar korona ce ta mamaye kafofin yada labarai a Amurka tun bullarta a farkon wannan shekarar, sannan yadda shugaba Trump ke tunkarar annobar ya yi ta haddasa ce-ce-ku-ce har a jam'iyyu. Nuna goyon baya kan matakan da yake dauka ya ja hankali a tsakiyar watan Maris lokacin da ya kaddamar da dokar ta baci da ware wa jihohi dala biliyan 50 don hana yaduwar cutar. A wannan lokaci kashi 55 cikin 100 na Amurkawa sun yi na'am da matakinsa, a cewar bayanan Ipos, kamfanin da ke kan gaba wajen shirya kuri'ar jin ra'ayi. Amma duk wani goyon-baya daga Democrats ya gushe bayan nan, yayinda Republican ke cigaba da nuna goyon baya ga shugabansu. Bayanan baya-baya nan, ko da yake, sun nuna cewa ko magoya bayansa sun soma diga ayar tamabaya kan matakansa yayin da jihohi a kudu da yammacin kasar ke fama da sake yaduwar cutar. Magoya bayan Republican sun ragu da kashi 78% a farkon watan Yuli. Wannan na iya bayyana dalilan da suka sa ya rage azarbabi 'yan kwanakin nan akan cutar korona, tare da gargadin cewa yanayin na iya ''rincabewa kafin daga bisa a samu sauki''. Ya kuma sanya takunkumi a karon farko kwana nan, da kira ga Amurkawa su sanya nasu, inda yake cewa ''Za su yi tasiri'' da nuna ''masu biyaya ne''. Wani bincike da kwararru a Jami'ar Washington suka wallafa ya nuna cewa adadin mamata na iya zarce dubu 250 kafin lokacin zabe. Ana iya dogaro da ƙuri'u? Abu ne mai sauki a yi watsi da kuri'u ta hanyar cewa sun yi kuskure a 2016 sannan shugaba Trump ya sha aikata hakan. Amma hakan ba gaskiya ba ne. Kuri'un jin ra'ayi da dama na nuna Hillary Clinton a kan gaba da dan wani kaso, amma hakan ba yana nufin sun yi rashin gaskiya ba, tun da ta yi nasara a zabe kan abokin hamayarta da miliyan Uku. Pollsters sun fuskanci 'yan matsaloli a 2016 - gazawa wajen bayyana masu zabe ba tare da amfani da kwamiti ba - ma'ana damar da Mista Trump ke da ita a jihohin da aka fi fafatawa, bai fito ba har sai da lokaci ya kure. Akasari irin wadanan kamfanonin sun gyara wannan kuskuren. Sai dai a wannan shekara rashin tabbas din ya fi yawa saboda annobar korona da tasirin da ta yi ga tattalin arziki da kuma yadda mutane za su yi zabe a Nuwamba, don haka idan aka karanta ko amfani da kowanne kuri'a dole ayi takatsan-tsan, musamman kan ranar zabe."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48918895", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48885138", "doc1": "চীনে নিখোঁজ শিশুদের ছবি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, সংখ্যালঘু উইগর মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক শিশুর বাবা-মা হয় জেলে, না হয় ক্যাম্পে বন্দী আছেন। পাশাপাশি উইগর মুসলিম শিশুদের জন্য বোর্ডিং স্কুল তৈরির জন্য দেশটিতে ব্যাপক ভিত্তিতে একটি প্রচারণা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, শিশুদেরকে তাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। আরো পড়তে পারেন: মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীনের মুসলিম বন্দী শিবিরগুলো এখন 'বৈধ' রবিবারে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, \"শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। মোটেও না।\" কিন্তু বিবিসি এর আগে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছে যে, শিনজিয়াং-এর একটি এলাকাতেই ৪০০ এর অধিক শিশু বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, উগ্রবাদকে মোকাবেলা করতে উইগর সম্পদ্রায়ের সদস্যদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা যায় যে, এমনকি নিজের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নামাজ পড়া বা হিজাব পড়া বা তুরস্কে কারো সাথে যোগাযোগ থাকার কারণেও অনেককে আটক করা হচ্ছে। চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। এই ব্যবস্থায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাবা-মাকে আটক করার পর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে শিশুটিকে 'সেন্ট্রালাইজ কেয়ার' বা কেন্দ্রীয় পরিচর্যার আওতায় নেয়া হবে কিনা। শিনজিয়াং-এর স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব শিশুর বাবা-মাকে আটক করা হয় তাদেরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই শিশুদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এবং এই শিশুদেরকে ভালোভাবে দেখ-ভাল করার নির্দেশ দেয়া হয়। শিশুদেরকে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এই বিষয়টি নিয়ে বিবিসির হয়ে গবেষণা করেছেন যেই ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ। তিনি বলেছেন, বোর্ডিং স্কুলগুলোতে মূলত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোকে সাংস্কৃতিকভাবে রি-ইঞ্জিনিয়ারিং বা নতুন করে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়। তার এর মতে, বোর্ডিং স্কুলে রাখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত শিনজিয়াং -এর সরকার এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করছে যারা নিজের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেড়ে উঠছে। উইগর সম্পদ্রায়ের হাজার হাজার মানুষ তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে, কেউ নিজের পরিবারের সদস্যদের দেখতে আর কেউ-বা পাড়ি জমিয়েছেন ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে।", "doc2": "A yayin da ake tsare da dubban mutane a manyan sansanoni, a lokaci guda kuma ana wani gangami na neman gina makarantun kwana. Ta hanyar wasu bayanai da aka samu a wajen mutane da hirarrakin da aka yi da iyalai da ke kasashen ketare, BBC ta tattaro wasu kwararan hujjoji game da abin da ke faruwa da yara a yankin. Ajiyayyun bayanai sun nuna cewa a gari guda kawai, fiye da yara 400 ne suka rasa dukkan iyayensu sakamakon tsare iyayen da aka yi ko dai a sansanoni ko kuma a gidan yari. Ana gudanar da bincike don gano ko yaran na bukatar kulawar hukumomi. Baya ga kokarin sauya al'adu da dabi'un mutanen Xinjiang manya, hujjoji na nuna cewa akwai wani yunkuri na yanke alakar yara da tushensu. Sansanin kula da yara na Kindness Kindergarten, kamar sauran ire-irensa yana da tsaro sosai Tsauraran matakan tsaro da aka sanya a Xinjiang, inda ake bibiyar 'yan jarida awa 24 ya sa da wuya a samu shaidu a can. Amma za a iya samu a kasar Turkiyya. A wani dogon daki a Istanbul, gomman mutane ne ke kan layi domin bayar da labaran da ke ci musu tuwo a kwarya, inda da dama daga cikinsu suke nuna hotunan kananan yara da suka yi batan-dabo a Xinjiang. Wata uwa ta ce: \"Ban san wane ne yake kula da su ba,\" tana mai nuna hoton 'ya'yanta kanana mata guda uku , ta kara da cewa, \"ba wani bayani dangane da su.\" Ita ma wata uwa wadda ke dauke da hoto da ke nuna 'ya'yanta maza uku da mace daya, cikin kuka ta ce, \"na ji an ce an kai su gidan marayu.\" A hirarraki da aka yi da iyaye da 'yan uwa 60, sun bayar da bayanai dangane da batan 'ya'yansu kimanin 100 a Xinjiang. Mahaifan na guduwa zuwa Turkiyya Dukkanninsu 'yan kabilar Uighur ne, wata kabila mai yawan Musulmai da ke yankin Xinjiang na China da ke da alakar harshe da kasar Turkiyya tun tale-tale. Dubban 'yan kabilar ta Uighur sun je Turkiyya ne ko dai domin kasuwanci ko karatu ko kuma domin guje wa dokar kayyade iyali da kuma kuntata wa Musulmai da ake yi. To sai dai a shekaru uku da suka gabata sun samu kansu a yanayi mai tsanani lokacin da China ta fara tsare dubban 'yan kabilar da wasu kananan kabilu a sansanoni. Hukumomi a China sun ce ana ilmantar da 'yan kabilar ta Uighur din ne a 'cibiyoyin koyar da sana'a domin raba su da tsananin ra'ayin addini. To sai dai shaidu sun nuna cewa ana tsare da dama daga cikin mutanen saboda suna bayyana akidar addinin da suke bi ne ta hanyar yin sallah ko kuma yin lullubi ko kuma yin alaka da kasashen waje kamar Turkiyya. Ga 'yan kabilar ta Uighur, komawa Xianjing tamkar shiga kangin wahala ne. Yanzu haka mutanen da ke Xinjiang ba sa iya yin waya da 'yan uwansu da ke waje saboda akwai hadari idan aka kama mutum. 'Yan kabilar Uighur na fama da kuntatawa bisa zargin akidar zarmiya Wani uba da aka kama mai dakinsa aka tsare a Xinjiang ya ce yana fargabar wasu daga cikin 'ya'yansa guda takwas ka iya kasancewa a irin wannan sansanin da ke karkashin kulawar gwamnatin China. \"Ina tsammanin an kai su sansanonin da ake ajiye yara,\" in ji shi. Wani sabon bincike da BBC ta dauki nauyi ya yi karin haske kan hakikanin abun da ke faruwa da wadannan dubban yaran da ma wasu daban. Dr Adrian Zenz wani mai nazari ne dan kasar Jamus da ya yi suna wajen fallasa yadda kasar China ke tsare matasan Musulmi na Xinjiang kuma ya samu takardun da ke nuna yadda Chinar ke fadada makarantu a wani shiri da ba a taba yin irinsa ba a baya. An fadada makarantu da gina sabbin dakunan kwana, bayan hakan ya nuna irin yadda Chinar take bai wa shirin tsugunar da yara a sansanoni cikakkiyar kulawa. Alamu kuma na nuna shirin Chinar na kan 'yan kabila daya ne kawai. Ana kebe kananan yaran da ba sa tare da mahaifansu a wata makarantar kananan yara, Sunshine Kindergarten A shekara daya kacal wato 2017 yawan yaran da aka shigar makarantar wasa a Xinjiang ya karu da fiye da rabin miliyan. Kuma yara 'yan kabilar Uighur da sauran tsirarun kabilun Musulmi ne kashi 90 cikin dari na yawan yaran. Hakan ne ya sa, sanya yara a makaranta a yankin na Xinjiang ya zarce adadin da gwamnati ta sanya nesa ba kusa ba. A kudancin Xinjiang kawai, gwamnati ta kashe tsabar kudi har dala biliyan 1.2 wajen gina makarantun kananan yara. Nazarin da Mr Zenz ya yi ya nuna karin gine-ginen da aka samu har da dakunan kwana. Wata makarantar yara a yankin Xinhe mai cin yara 700 inda kuma kashi 80 cikin dari na 'yan makarantar 'yan kabilar Uighur ne Sai dai da yake magana da BBC, Xu Guixiang, wani babban jami'in gwamnati da ke aiki a sashen yada farfagandar yankin na Xinjiang, ya ki yarda da cewa gwamnati na son killace kananan yara ne sakamakon rashin mahaifa. \"Idan har za a ce an kai dukkan iyalai zuwa makarantar koyon sana'a to wadannan iyalan suna da babbar matsala ke nan,\" in ji shi, yana mai dariya. \"Ban taba ganin inda ake haka ba.\" Ya ce To sai dai watakila babban abin da binciken Mr Zenz ya nuna shi ne shaidar da ke bayyana yadda ake kai kananan yara masu yawa zuwa makarantun kwana. Da alama an boye wasu takardun bayanai masu mahimmanci na gwamnati daga intanet ta hanyar yin amfani da wasu kalmomin maimakon makarantun koyar da sana'a. Mun tambayi wasu jami'ai dangane da makomar yaran da ake kangewa a sansanoni. Wata jami'a ta shaida mana cewa \" suna makarantun kwana,\" inda muke \"sama musu wurin zama da abinci da sutura… kuma an fada mana daga sama cewa dole ne mu kula da su sosai.\" Dubban yaran yankin Xinjiang na kabilar Uighur ba sa tare da mahaifansu A Xinjiang, nazarin ya nuna cewa dukkanin yaran na makarantun da aka sanya wa tsauraran matakan tsaro da kangewa . Mafi yawancin makarantun suna da na'urorin kula da inda mutum yake da kuma wayoyin lantarki masu jan mutum da aka zagaye ginin da su guda 10,000. A farkon 2017 ne dai aka bullo da wannan tsari lokacin da aka tsare mutane masu yawa. Mr Zenz ya ce: \"Ina tsammanin cewa shaidun da ke nuna dabarun tsare iyaye da yara a wuri daban-daban alamu ne da ke nuna yadda gwamnatin Xinjiang ke kokarin samar da wasu jama'a daban a nan gaba da ba su da alaka da asalinsu ko kuma addinin iyayensu ko yarensu.\" Ya kara da cewa: \"Na yi imani cewa shaidun na nuna wani abu da muke kira kokarin shafe wata al'umma daga bayan kasa.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51076004", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51084296", "doc1": "৫০ বছর যাবত ওমানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেন ১৯৭০ সালে ব্রিটিশদের সহায়তা নিয়ে তিনি তাঁর পিতাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর দেশটির তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তিনি ওমানকে উন্নয়নের পথে আনেন। সুলতান কাবুস ওমানের জনগণের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তার হাতেই ছিল সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র। যে কোন বিরোধী মতকে তিনি কঠোরভাবে দমন করতেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তাঁর চাচাতো ভাই হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ এখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি ওমানের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সুলতান কাবুস-এর মৃত্যুর পর রাজপরিবারে এক বৈঠক হয় এবং তারপর শপথ গ্রহণ করেন হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ। ওমানে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে সুলতানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। ওমানের সুলতান একাধারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী,সামরিক বাহিনী সর্বাধিনায়ক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সুলতান কাবুস-এর কোন উত্তরাধিকারী নেই। তাঁর উত্তরাধীকারী হিসেবে তিনি কাউকে নির্বাচনও করেননি। চিকিৎসার জন্য গত সপ্তাহে তিনি বেলজিয়াম গিয়েছিলেন। তখন খবর বেরিয়েছিল যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিরপেক্ষ নীতি গত প্রায় পাঁচ দশক যাবত সুলতান কাবুস ওমানের রাজনীতি একচ্ছত্র ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওমানের জনসংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ, যার মধ্যে ৪৩ শতাংশ বিদেশী নাগরিক। ২৯ বছর বয়সে তিনি তার বাবা সাঈদ বিন তৈমুরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তারা বাবা ছিলেন ভীষণ রক্ষণশীল। তিনি ওমানে অনেকে বিষয় নিষিদ্ধ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল - রেডিও শোনা এবং সানগ্লাস নিষিদ্ধ করা। ওমানে কে বিয়ে করতে পারবে, কে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, এমনকি কে দেশত্যাগ করবে - এসব কিছুর সিদ্ধান্ত তিনি দিতেন। পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুলতান কাবুস ওমানে আধুনিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন। তখন ওমানে মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং তিনটি স্কুল ছিল। সুলতান কাবুস তখন ঘোষণা করেন, দেশটির তেল সম্পদ কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের আধুনিকায়ন করবেন। আরো পড়তে পারেন: বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ স্বীকার করেছে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস টার্গেট করেছিল ইরান, ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর সুলতান কাবুসের পিতা সাঈদ বিন তৈমুর। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যেই ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে ওমানের দক্ষিণাঞ্চলে উপজাতিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমন করেন। সুলতান কাবুসকে মনে করা হতো একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সালে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পর্দার আড়ালে আলোচনার সূত্রপাত করাতে ভূমিকা রাখেন সুলতান কাবুস। সে ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি হয়েছিল। সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী শাসন ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় ওমানেও কিছু অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেশটিতে বড় ধরণের কোন বিক্ষোভ হয়নি। কিন্তু ওমানের বিভিন্ন জায়গায় হাজার-হাজার মানুষ ভালো মজুরির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবির মধ্যে আরো ছিল অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা। তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ওমানের সমৃদ্ধি এনেছেন সুলতান কাবুস নিরাপত্তা বাহিনী প্রথম দিকে সে বিক্ষোভের প্রতি কিছুটা নমনীয় ভাব দেখিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং তাজা গুলি ছুঁড়েছে। তখন দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। 'বেআইনি সমাবেশ' এবং 'সুলতানকে অপমান' করার অভিযোগে শতশত মানুষকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে সক্ষম না হলেও সুলতান কাবুস পরবর্তীতে, দুর্নীতিবাজ বলে মনে করা হয় এবং একই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রিত্বে থাকা কিছু ব্যক্তিকে সরিয়ে দেন। তিনি সরকারি চাকরির সুযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন। তখন থেকে কর্তৃপক্ষ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বন্ধ করে দেয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তখন বিভিন্ন বই বাজেয়াপ্ত এবং মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানিও করা হয়।", "doc2": "Masu makoki ne ke dauke da gawar Sarki Qaboos ranar Asabar gabanin binne shi Firaministan Birtaniya Boris Johnson da kuma Yariman Wales sun isa wurin jana'izar sarkin a babban birnin Oman wato Muscat, wanda ya mutu yana da shekara 79. Sarkin da ake daukarsa a matsayin mai fada-a-ji, Qaboos ya saita Oman a turbar ci gaba bayan ya hau karaga a wani juyin mulkin ruwan sanyi da ya yi wa mahaifinsa a shekarar 1970. Tuni aka rantsar da dan uwansa Haitham bin Tariq Al Said a matsayin magajinsa. Sarakunan kasashen Kuwait da Qatar da na Daular Larabawa har ma da na Bahrain da shugaban kasar Tunisiya da sauran shugabnni duk sun hallara a Muscat domin jana'izar tasa. Kazalika, ana sa ran halaratar shugaban kasar Japan, wanda yake yin ziyara a yankin. Sultan Haitham kenan yayin da ake rantsar da shi a matsayin magajin marigarin Sarki Qaboos ba shi da mai jiran gado wanda aka ayyana, amma a bisa tsari iyalansa suna da kwana uku domin zabar wanda zai gaje shi. Ba tare da wani bata lokaci ba suka bude wani ambulan na sirri da sarkin ya bayyana wanda zai gaje shi a ciki. Dubban mutane ne suka taru a babban Massallacin Sultan Qaboos ranar Asabar yayin jana'izarsa, inda aka binne shi a makabartar iyalan gidansu. Har yanzu ba a tabbatar da abin da ya yi ajalin sarkin ba, amma wasu rahotanni na cewa yana fama ne da cutar daji mai shafar hanji."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48618835", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48612598", "doc1": "মার্ক জাকারবার্গের কম্পিউটার-জেনারেটেড সংস্করণ ওই ভিডিওতে মার্ক জাকারবার্গককে দেখা যায় যে, তিনি তার সাফল্যের জন্যে একটি গোপন সংগঠনের তারিফ করছেন। ভিডিও ক্লিপটি একটি 'ডিপফেক', যা এআই সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেকোন ব্যক্তির একটি ফটো ব্যবহার করে তা দিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়। এটি এমন এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি, যা দিয়ে যে কারও নকল ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া যায়। ভিডিওতে কাউকে এমন কিছু করতে বা বলতে দেখা যায়, যা হয়তো তিনি কখনোই করেননি বা বলেননি। আরও পড়তে পারেন: কোন কোন পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়? সরকারের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে ফেসবুকের যত সুপারিশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটে ফেসবুক, যা জানা যাচ্ছে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য কন্টেন্ট শেয়ার হয়। যার মধ্যে রয়েছে অনেক ফেক বা ভুয়া কন্টেন্ট। এর আগেও মার্কিন হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে নিয়ে তৈরি একটি মিথ্যা ভিডিও মুছে না ফেলার জন্যে সমালোনার ঝড় উঠেছিল। লন্ডনে ৫০০টি নতুন চাকরির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তের সাথে ফেসবুকের এই সিদ্ধান্তের যোগ খুঁজে পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই কোম্পানিটি বলছে যে সেসব চাকরির অন্তর্ভুক্ত কাজের মধ্যে আছে মেশিন-লার্নিং ভিত্তিক সফটওয়্যার নির্মাণ। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারাপ বিষয় শনাক্ত করতে পারবে এবং তা মুছে ফেলতে পারবে। ক্ষতিকর কন্টেন্ট পর্যালোচনা করতে কর্মীদের জন্যে এডিটিং টুলসও তৈরি করবে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরও ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে তারা। ফেসবুকের সিলিকন ভ্যালির সদর দপ্তরের অফিসে ২০১৭ সালে দেয়া একটি ভিডিও উপস্থাপনা থেকে মিস্টার জাকারবার্গের ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়। ফেসবুক লগ ইন। সেখানে তার শরীরের ফুটেজের সাথে ফেসবুক প্রধানের মুখের ছবি মিলিয়ে দেয়া হয়। একজন অভিনেতার অডিও রেকর্ড করে এটির সাথে সিঙ্ক করা হয়। মি. জাকারবার্গের এই 'ডিপফেক' ভিডিওটি শেফিল্ডের শিল্প প্রদর্শনের জন্যে তৈরি করা হয়েছিল। সেটি ডিজাইন করা হয় এই দেখানোর জন্যে যে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো অন্যান্য কেলেঙ্কারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কিভাবে প্রভাবিত করে বা সেগুলো কিভাবে মানুষের মনোযোগকে বিভ্রান্ত করে। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি লুপ করে শনিবার ইন্সটাগ্রামে আপলোড করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভিডিওটির খবর জানানোর পরই এটি বিশেষত্ব পায়। \"এর ফলাফল বাস্তবসম্মত- অবশ্য যদি আপনি এটি নিঃশব্দে ছেড়ে রাখেন,\" বলছে একটি সংবাদ মাধ্যম। কেননা এর কণ্ঠটি যে মার্ক জাকারবার্গের নয় তা স্পষ্ট বোঝা যায়। ভিডিওটি ডিপফেক হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেবেল করা হয়। ইন্সটাগ্রামের পোস্টটি ২৫ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে সেটি শেয়ারও হয়েছে বহুবার। মানুষ যোগাযোগের জন্য অনেকাটাই ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল। ইন্সটাগ্রাম অ্যাপের প্যারেন্ট কোম্পানি ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, \"আমরা এই কন্টেন্টটি ইন্সটাগ্রামের অন্যসব ভুল তথ্যের মতো করে একইভাবে ব্যবহার করবো।\" \"যদি তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট চেকার এটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করে, তবে আমরা এটিকে ফিল্টার করবো।\" এই কাজের সাথে জড়িত শিল্পীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কোম্পানির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিবিসিকে তারা জানান যে, \"এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকে নতুন মাত্রার প্রোপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়ে যায়। এর ফলে ফেসবুক দ্বারা সেন্সর করা আমাদের শিল্প নিশ্চয়ই কেউ দেখতে চাইবে না।\" তবে ডিজিটালভাবে প্রভাবিত শিল্পের অর্থপূর্ণ নিয়ন্ত্রণকে তারা স্বাগতও জানিয়েছেন। হ্যাকারদের থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে মানুষের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল সচেতনতা। রাজনৈতিক ক্ষেত্র তিন সপ্তাহ আগে মিজ পেলোসির মিথ্যা ভিডিওটি সরিয়ে নেবার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার পর ফেসবুক যদি এখনকার এই পোস্টটি ব্লক করে, তবে তা একধরনের ভণ্ডামির পর্যায়ে পড়বে। সেই ক্লিপটি 'ডিপফেক' প্রযুক্তির সাহায্য তৈরি না হলেও সেটি এমনভাবে তৈরি যেখানে একজন গণতান্ত্রিক রাজনীতিকের বক্তব্য বিকৃত হয়ে প্রকাশ পায়। মিজ পেলোসি দৃঢ়ভাবে ফেসবুকের সমালোচনা করে বলেন, \"এখন তারা এমন কিছু অনলাইনে আনছে যা তারা জানে যে মিথ্যা।\" \"আমি এটা মেনে নিতে পারি... কিন্তু ফেসবুক সাধারণ মানুষের কাছে মিথ্যা বলছে।\" ওয়াশিংটনপোস্ট থেকে জানা যায় যে, মি. জাকারবার্গ ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্যে মিজ পেলোসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মিজ পেলোসি কোনও সাড়া দেননি।", "doc2": "Bidiyon ya nuna yadda Mark Zuckerberg ke magana da kyafta ido da girgiza kansa Sai dai bidiyon na bogi ne, kuma an hada shi ne da wata sabuwar fasaha da ke iya sauya murya da motsin baki. A baya an soki Facebook saboda kin sauke irin wannan bidiyon inda aka sauya motsin bakin kakakin majalisar wakilan Amurka Nancy Pelosi. Wanann matakin na baya-bayan nan ya zo dai-dai da sanarwar sababbin ayyuka 500 a Landan. Kamfanin na sada zumunta ya ce akasarin sababbin ma'aikatan za su rika kirkirar manhajojin da za su rika ganowa da cire bayanai masu dauke da kalaman batanci ko janyo rarrabuwar kai a kan shafin. Haka kuma, za su kirkiri hanyoyin da za su taimaka wa mutane wajen gane sakonni masu cutarwa. An kirkiri bidiyon bogin Mista Zuckergerg ne don nuna wa a wani wajen bajen kolin kayan fasahar zamani mai suna Spectre a birnin Sheffield. An shirya baje kolin ne don jawo hankali kan yadda ake sa wa mutane ido kuma ake iya sauya murya ko kamanni ko motsin baki a shafukan sada zumunta. Ya kunshi hotunan fuskar shugaban kamfanin da aka kirkira a kan komfuta, sai aka hada da hoton bidiyon jikinsa da aka ciro daga wani hoton bidiyonsa da aka dauka a 2017 a shelkwatar Facebook da ke Silicon Valley. Sai aka nadi muryar wani aka dora a kan bidiyon. An dora bidiyon ne mai tsawon dakika 16 a Instagram ranar Asabar. \"Sakamakon abin da zai iya yiwuwa ne - idan aka kashe muryar,\" kamar yadda kafar ta fada. \"Muryar da aka sanya a bidiyon daga ji an san ba ta Zuckerber ba ce, sai dai ta wani ce mai kokarin kwaikwayo.\" Zuwa yanzu an kalli bidiyon a shafin Instagram fiye da sau 25,000. An kuma yada shi a Facebook ma."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44786426", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49201305", "doc1": "চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বসানোর পর, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে বেইজিং অভিযোগ করেছে, অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে এ নিয়ে অভিযোগও করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক তালিকায় যেসব চীনা পণ্য রয়েছে, তার একটি সিএফ মোটর সাইকেল। চীনের কোম্পানি 'সি এফ মোটো'র তৈরি করা একরকম বারো হাজার মোটর সাইকেল এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু এখন তাদের এরকম বাণিজ্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সে কথাই বলছিলেন কোম্পানির অন্যতম ব্যবস্থাপক গাও চিং। ''অতিরিক্ত পঁচিশ শতাংশ ট্যাক্স অবশ্যই আমাদের ব্যবসায় অনেক প্রভাব ফেলবে। এটা আমাদের মুনাফা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।'' যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ কিভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সি এফ মোটো আমেরিকানদের চাকরির সুযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু সেটা মনে করেন না গাও চিং। তিনি বলছেন, ''আপনি যদি আমাদের কারখানাটি ভালো করে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন, যে আমরা আমাদের নিজেদের যোগ্যতাতেই এ পর্যন্ত এসেছি এবং টিকে রয়েছি। সেটা আমরা করেছি আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনেই।'' কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা মনে করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, নিয়মনীতি ভেঙ্গে চীনের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন চীনের প্রধান শিল্পনীতি নিয়ে, যাকে চীনারা বলছে 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ'। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে একটি বড় ধরণের পরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য বিশ্বের অর্থনীতিতে চীনের এক নম্বর হয়ে ওঠা। যার প্রধান উপাদান হবে রবোটিক্স এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলসের মতো প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। সাংহাইয়ের কোম্পানি ফোরইয়া ইন্টেলিজেন্স রবোটিক্স ব্যবহার করে এমন একটি বিশেষ পোশাক তৈরির চেষ্টা করছে, যেটি মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া লোকজনকে হাটতে সহায়তা করবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গু জিয়ে স্বীকার করেন, এটা হচ্ছে সেই ধরণের কোম্পানি, যাদের কথা চীনের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' শ্লোগানে বলা হচ্ছে। তার মতে, এই শ্লোগান নিয়ে অন্য দেশের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এই শ্লোগান হচ্ছে চীনের উন্নয়ন ধরে রাখার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই উপকৃত হবে। তিনি বলছেন, ''চীন হচ্ছে একটি মানব শিশুর মতো। আপনি কখনোই একটি শিশুকে বড় হওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবেন না। বরং সেখানে বাধা সৃষ্টি না করে, সেই উন্নয়নে সহযোগী হওয়া, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে সঠিক পথ দেখানো ভালো, যার মাধ্যমে ভালো অংশীদার হওয়া সম্ভব।'' তবে এসবে সন্তুষ্ট নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই মুহূর্তে তার শুল্ক তালিকায় রয়েছে সিএফ মোটোর মতো অনেক ভারী শিল্প পণ্য, যা এই কারখানায় তৈরি হয়। এখন চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে পাল্টা জবাব দিতে চাইছে। অন্যদিকে মি. ট্রাম্প চীনে তৈরি প্রায় সব পণ্যের ওপরই শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন। কয়েক দশকের বাণিজ্য সম্পর্কের পর বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনীতির দেশ অনিশ্চিত এক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানে অর্থপূর্ণ আলোচনার কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আর কোন পক্ষই যেন নিজেদের মধ্যকার এই দেয়াল ভাঙ্গতে প্রস্তুত নয়। আরও পড়তে পারেন: চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত অপরাধীদের 'স্বর্গরাজ্য' দক্ষিণ আফ্রিকার যে শহর খালেদার আইনজীবী কার্লাইলকে ঢুকতেই দিলো না দিল্লী 'বিরিয়ানি নিয়ে যুদ্ধে' উত্তপ্ত ভারতের দুই রাজ্য", "doc2": "Ya wallafa hakan ne a shafinsa na Twitter bayan tattaunawar da Chinar ta yi da Amurkar ta gaza samar da wata nagartacciyar mafita. Ana sa ran cewa wannan harajin zai fara aiki ne a watan Satumba kuma zai shafi dukkanin kayayyakin da za su shiga Amurka daga China. A jerin sakonnin da Mista Trump ya aika a shafinsa na Twitter, ya fara ne da jinjinawa sabuwar tattaunawar yarjejeniyar da kasashen biyu suka yi. Ya bayyana tattaunawar da aka yi a wannan makon a Shanghai a matsayin tattaunawa mai kyau kuma mai amfani kafin daga baya ya bullo da wannan sabuwar barazanar ta shi ta kara zabga haraji. Da alamu Mista Trump ya fusata kan yadda Chinar ta gaza samar da kayayyakin da ya kamata ta samar kamar yadda tayi alkawari. A lokacin da Mista Trump ke daf da shiga jirgin sama ya shaida wa manema labarai cewa yana da ikon saka haraji ko zaftarewa domin matsa wa China lamba ko hura mata wuta. Mista Trump din ya ce ''Shugaba Xi mutum ne wanda nake so, ina ganin yana da ra'ayin wannan yarjejeniya, amma maganar gaskiya ita ce ba shi da azarbabi. ''Ya taba cewa kasarsa za ta rinka sayan kayayyaki daga manomanmu kuma bai yi hakan ba. Ya kuma ce zai yi kokarin hana shigar da kwayar Fentanyl Amurka, duk daga China ake shigo da ita amma ya gaza.'' Dubban 'yan Amurka ne ke mutuwa saboda Fentanyl, in ji Mista Trump. Ya ce ''Kuma muhimmin abu shi ne ko wacce shekara China na samun biliyoyin daloli duk shekara tana kara gina kanta, mu ma lokaci ya yi da za mu kara gina kasarmu.'' Wannan harajin dai ba zai fara aiki ba sai watan Satumba wanda hakan zai ba Chinar damar yin gyararraki ko watakila Trump ya janye harajin kafin a fara wata sabuwar tattaunawar a Washington. A shekarar da ta gabata ne Mista Trump ya zabga haraji kan kayayyakin China na kusan dala biliyan 250, amma a wannan karon harajin zai yi tasiri matuka ga Amurkawan da za su saya kayayyakin sakamakon tsada. Wannan harajin zai shafi komai tun daga kayayyakin wasan yara har zuwa wayoyin sadarwa haka zalika farashin na'urar kwamfuta ma zai yi karuwa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57101367", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-57102836", "doc1": "ইসরায়েলি আরবদের ভোটদানের অধিকার আছে, কিন্তু অনেকেই বলেন দেশটির বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাত ও অসন্তোষের পর ইসরায়েল তেল আবিবের কাছে কেন্দ্রীয় একটি শহর লড-এ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ইসরায়েল বলছে সেখানে দাঙ্গায় জড়িয়েছে ইসরায়েলি আরবরা। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই দাঙ্গা। ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম ইসরায়েল সরকার সেদেশের আরব সম্প্রদায়ের ওপর জরুরিকালীন ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। কিন্তু কারা এই ইসরায়েলি আরব? আরও পড়তে পারেন: ইসরায়েলি আরবদের ইতিহাস তেল আবিবের কাছে জাফায় আবাসিক ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে ২০২১এর এপ্রিল মাসে একসাথে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন ইসরায়েলি আরব ও তাদের ইহুদি সমর্থকরা সাধারণ বলা হয় ইসরায়েল একটি ইহুদি রাষ্ট্র, কিন্তু ইসরায়েলে ইহুদি নয়, এমন মানুষও বাস করেন। যেমন ইসরায়েলের সংখ্যালঘু আরব সম্প্রদায়, যারা বংশ পরিচয়ে ফিলিস্তিনি, কিন্তু তারা ইসরায়েলের নাগরিক। ইসরায়েলের জনসংখ্যা নব্বই লাখের বেশি। এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ প্রায় ১৯ লাখ ইসরায়েলি আরব। ইসরায়েল রাষ্ট্র যখন সৃষ্টি হয় ১৯৪৮ সালে, তখন এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের সীমানার ভেতরে রয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ, ১৯৪৮ পরবর্তী যুদ্ধের সময় হয় ইসরায়েল ছেড়ে পালিয়ে যায় অথবা তাদের বসতভিটা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। যারা ইসরায়েল থেকে চলে গিয়েছিলেন তারা সীমান্ত এলাকার কাছেই পশ্চিম তীর ও গাযায় বসতি গাড়েন অথবা ওই এলাকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। ইসরায়েলের ভেতরে যারা থেকে যান তারা নিজেদের পরিচয় দেন ইসরায়েলি আরব, ইসরায়েলি ফিলিস্তিনি বা শুধুই ফিলিস্তিনি হিসাবে। ইসরায়েলি আরবদের গরিষ্ঠ সংখ্যকই মুসলমান। তবে অন্যত্র ফিলিস্তিনি সমাজে যেমন, তেমনই ইসরায়েলি আরবদের মধ্যে খ্রিস্টানও রয়েছেন। ইসরায়েলি আরবদের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহৎ গোষ্ঠীর মানুষ খ্রিস্টান। ইসরায়েলে ১৯৪৯ সালের ২৫শে জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন হবার সময় থেকেই ইসরায়েলি আরবদের ভোটাধিকার রয়েছে। কিন্তু তারা বলেন কয়েক যুগ ধরে ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সমাজে আলাদা অস্তিত্ব মহামারির সময় হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে একযোগে কাজ করেন ইহুদি এবং ইসরায়েলি আরব চিকিৎসকরা ইসরায়েলে আরব ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক সময়ই জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য একই জায়গা ব্যবহার করেন না। যদিও করোনাভাইরাস সঙ্কটের সময় সাম্প্রতিক কয়েক মাসে দেখা গেছে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এক সাথে কাজ করেছেন। এটা বিশেষভাবে দেখা গেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। যেখানে একই হাসপাতালে এক সাথে কাজ করেছেন ইহুদি ও আরব চিকিৎসকরা। একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরব ও ইহুদি রোগীরা। চিকিৎসকের ২০%, নার্সদের মধ্যে ২০% এবং ফার্মাসিস্ট বা ওষুধ বিক্রেতাদের ৫০%ই ইসরায়েলি আরব। কিন্তু জাতীয়ভাবে ইসরায়েলি আরব ও ইহুদি নাগরিকরা একইসাথে পাশপাশি কাজ করছেন এমন নজির খুঁজে পাওয়া কঠিন। উদাহরণ স্বরূপ, ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর একটা কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে। ইহুদি নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীতে কোন একটা সময়ে কাজ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আরবদের জন্য সেটা বাধ্যতামূলক নয়। বৈষম্য ইসরায়েলি একজন বসতিস্থাপনকারী পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জারায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের পারিবারিক বাসভবনকে নিজের বলে দাবি করে এক ভিডিও পোস্ট করলে সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল হয় আরব ইসরায়েলিরা বলছেন তারা তাদের নিজের দেশের মধ্যে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হন, যেটা দেশটির পরিচালনা ব্যবস্থার ভেতরেই নিহিত। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সহমতও। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল বলছে ইসরায়েলের বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে বৈষম্য আরোপ করে রেখেছে। এপ্রিল ২০২১-এ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। যেসব ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত ইসরায়েলে বাস করেন এবং যেসব ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও গাযাতে ইসরায়েলি দখলদারির অধীনে বসবাস করেন, তাদের প্রতি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আচরণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ রিপোর্টকে \"অবাস্তব ও ভুয়া\" বলে প্রত্যাখান করেছে। ইসরায়েলি আরবরা বলছেন সরকারের তাদের জায়গাজমি জব্দ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাদের অভিযোগ জাতীয় বাজেটে ইহুদি কর্তৃপক্ষ তাদের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে বৈষম্য করে আসছে। আরও পড়তে পারেন: 'দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক' উদাহরণ স্বরূপ, ইসরায়েলে নাগরিকত্বের যোগ্যতা পাবার জন্য আইনের যে বিধান রয়েছে তা ইহুদিদের অনুকূলে। ইহুদিদের এমনিতেই ইসরায়েলি পাসপোর্ট পাবার অধিকার রয়েছে, তারা কোন্ দেশ থেকে এসেছেন বা কোথায় থাকেন, সেটা বিবেচ্য হিসাবে ধরা হয় না। কিন্তু যেসব ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের ও তাদের সন্তানদের সেই অধিকার নেই। ইসরায়েলের সংসদ ২০১৮ সালে একটি বিতর্কিত 'নেশন-স্টেট আইন' পাশ করে। ওই আইনের বলে দেশটির অন্যতম একটি সরকারি ভাষা হিসাবে আরবী ভাষার মর্যাদা বিলুপ্ত করা হয়। এবং ঘোষণা করা হয় জাতীয় পর্যায়ে আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার আছে 'শুধু ইহুদি জনগোষ্ঠীর'। যে সময় 'ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ববাদের' এই আইন পাশ করা হয়, সে সময় সংসদে আরব ইসরায়েলি সদস্য আইমান ওডেন বলেছিলেন ইসরায়েলি আরবরা চিরকালই সে দেশে 'দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক'। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন \"এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠদের\"।", "doc2": "Larabawa 'yan Isra'ila za su iya yin zaɓe amma da yawansu na cewa ana nuna musu wariya Bayan shafe kwanaki ana tashin hankali, Isra'ila ta saka dokar ta-ɓaci a birnin Lod da ke tsakiyar ƙasar, a kusa da Tel Aviv babban birnin ƙasar, bayan Larabawan birnin sun yi zanga-zanga. Wannan ne karon farko da gwamnatin Isra'ila ke saka dokar ta-ɓaci a kan Larabawa tun bayan shekarar 1966. Yadda Isra'ila ta ruguza wani bene a birnin Gaza To, su wane ne Larabawa Isra'ila? Tarihin Larabawa 'yan Isra'ila Larabawa tare da Yahudawa kenan suke yin zanga-zanga tare a watan Afrilun 2021 game da yunƙurin sayen gidaje a Jaffa da ke kusa da Tel Aviv Babu mamaki kuna jin ana cewa Isra'ila ƙasar Yahudawa ce, amma akwai waɗanda ba Yahudawa ba ma. Su ne Larabawa 'yan tsiraru, waɗanda asalinsu Falasɗinawa ne amma kuma 'yan ƙasar Isra'ila ne. Al'ummar Isra'ila sun kai kamar miliyan tara, kuma kusan ɗaya cikin biyar nasu - wato kusan miliyan 1.9 - Larabawa ne. Falasɗinawa ne waɗanda suka ci gaba da zama a cikin Isra'ila bayan ƙirƙirar ƙasar a shekarar 1948, yayin da 750,000 daga cikinsu ko dai suka gudu ko kuma aka ƙwace gidajensu bayan ɓarkewar yaƙin da ya biyo baya. Waɗanda suka tsere sun matsa gaba da iyakar ƙasar zuwa Gaɓar Yammacin Kogin Jordan da Gaza da kuma sansanonin 'yan gudun hijira a yankin. Sauran da suka rage a cikin Isra'ila suna kiran kansu Larabawan Isra'ila ko Falasɗinawan Isra'ila ko kuma Falasɗinawa kawai. Larabawan Isra'ila akasarinsu Musulmai ne amma kamar sauran yankunan Falasɗinu, Kiristoci ne suke biye musu a yawa. Tun daga zaɓen farko da aka yi a ƙasar aka bai wa Larabawan 'yancin zaɓe ranar 25 ga watan Janairun 1949 - sai dai sun ce ana yawan nuna musu wariya a ƙasar tsawon shekaru. Me ya haddasa rikicin Masallacin Kudus? Haɗewa A lokacin annobar korona, Larabawa da Yahudawa sun haɗa kai domin kula da marasa lafiya a asibitoci Larabawa da Yahudawan Isra'ila ba su fiya yin mu'amala ba, duk da cewa annobar korona ta sa sun yi aiki tare. Ɗaya daga cikin hanyoyin da ke haɗa su ita ce ɓangaren lafiya - inda Larabawan da Yahudawan ke haɗuwa a asibiti ɗaya da magani ɗaya da likita ɗaya. Kashi 20 cikin 100 na likitocin Isra'ila Larabawa ne, su ne kashi 25 na ma'aikatan jinya, su ne kashi 50 na masanan kimiyyar haɗa magunguna. Sai dai abu ne mai wuya a iya gane alaƙa tsakanin mutanen biyu duk da cewa 'yan ƙasa ɗaya ne. Misali, rundunar soja na taka muhimmiyar rawa a Isra'ila sannan kuma shiga horon soja wajibi ne ga 'yan ƙasa. Amma kuma horon bai zama dole a kan Larabawa. Nuna wariya Wani bidiyo ya karaɗe shafukan zumunta na wani Bayahude da ya yi iƙirarin cewa wani gida mallakar wani iyali Falasɗinawa a birni Ƙudus nasa ne Larabawan Isra'ila sun sha bayyana cewa ana nuna musu wariya a cikin ƙasarsu, kuma ƙungiyoyin kare haƙƙin ɗan Adam da da yawa sun gasgata hakan. Amnesty International ta ce Isra'ila ta ayyana wariya kan Falasɗinawa da ke zaune a ƙasar a hukumance. Wani rahoto da Human Rights Watch ta fiatar a Afrilun 2021 ya ce gwamnatin Isra'ila ta masu wariya ce, wadda ke aikata laifukan take haƙƙi kan Larabawan Isra'ila da kuma Falasɗinawa da ke zaune a garuruwan da ta mamaye a Yammcin Kogin Jordan da kuma Gaza. Ma'aikatar harkokin wajen Isra'ila ta yi watsi da rahoton tana cewa \"na ƙarya ne\". Larabawan na cewa gwamnati na da tsohon tarihin ƙwace musu filaye tare da zargin Yahudawa da nuna musu wariya a kasafin kuɗi da ayyukan ƙasa. Su ma dokokin da aka kafa wa kowane rukuni sun sha bamban a ƙasar. 'Saniyar ware' Misali, dokokin Isra'ila na samun takardar shaidar zama ɗan ƙasa sun fi wa Yahudawa alfarma, waɗanda nan take za su iya samun fasfo ba tare da duba daga inda suka fito ba. Su kuma Falasɗinawa da aka kora da yaransu ba su da wannan 'yancin. A 2018, majalisar dokokin Isra'ila ta amince da wata doka da ke haramta amfani da Larabci a matsayin harshen ƙasa - da kuma Hebrew - sannan suka ayyana 'yancin samar da yanayi na ƙashin kai \"na musamman ga Yahudawa\". Ayman Odeh, wani Balarabe kuma ɗan majalisa, ya ce Isra'ila ta ƙaddamar da dokar 'ɗaukaka Yahudawa', yana mai faɗa wa Larabawa cewa 'saniyar ware za su zama a koyaushe a Isra'ila.' A gefe guda kuma, Firaministan Isra'ila Benjamin Netanyahu ya yi alƙawarin samar da daidaito amma ya ce \"masu rinjaye ne za su yanke hukunci\"."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53390672", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-53391820", "doc1": "ব্রিটেনের যুক্তি ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয় কেন সৌদিদের অস্ত্র জোগাতে এত আগ্রহী ব্রিটেন? এ নিয়েই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর। এই তিনটি দেশের যোগাযোগের সূত্রগুলো কোথায়? তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব বিশ্বে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ। আরব দুনিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ প্রতিবেশী ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের দমনে বিমান হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। গত বছর এক রিপোর্টে ব্রিটেন নিজেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ অস্ত্র বিক্রেতা বলে বর্ণনা করেছে। ব্রিটেন যত অস্ত্র রপ্তানি করে, তার ৪০ শতাংশই বিক্রি করে শুধু একটি দেশের কাছে - সেটি হল সৌদি আরব। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদিদের পাশে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী তারাও ব্রিটেনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে। অস্ত্র ব্যবসার হিসাবে ব্রিটেনের তুলনায় এগিয়ে আছে একমাত্র আমেরিকা। ইয়েমেনের অবস্থান কী? ব্রিটেনের এই কোটি কোটি পাউন্ড মুনাফার অস্ত্র ব্যবসা ইয়েমেনে সাধারণ মানুষের জীবন কীভাবে বিপন্ন করে তুলেছে এবং কী ধরনের ভয়ানক প্রভাব ফেলছে, ব্রিটেনের বিরোধী রাজনীতিক ও অস্ত্র ব্যবসার বিরোধীরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ একটা মানবিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইয়েমেনের পরিস্থিতিকে বিশ্বের ভয়াবহতম মানবিক সঙ্কট বলে ব্যাখ্যা করেছে জাতিসংঘ তাদের রিপোর্টে যাচাই করা তথ্য তুলে ধরে বলছে, ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত ইয়েমেনে মূলত সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষ মারা গেছে অন্তত ৭,৭০০ জন। অন্যান্য পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী অবশ্য বলছে যে সেখানে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি সংস্থা এসিএলইডি-র (আমর্ড কনফ্লিক্ট লোকেশান অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট) নথিভুক্ত করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা এক লাখ, যার মধ্যে সরাসরি হামলায় নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার। ইয়েমেনের জনসংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষার প্রয়োজন। আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে বিশ লাখ শিশু গুরুতর অপুষ্টির শিকার, যাদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার শিশুর বয়স পাঁচের নিচে। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য কী? গত গ্রীষ্মে মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের একটা বিজয় পেয়েছিল। তারা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যায়, এবং আদালতের নির্দেশে ব্রিটিশ সরকার সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। আদালত সরকারের এই অস্ত্র বিক্রির নীতি ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক আইনের \"গুরুতর লঙ্ঘন\" কি-না, তা বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সৌদি যুবরাজের ব্রিটেন সফর কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে এতো শত্রুতা কেন? মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে সাইবার-নজরদারির সামগ্রী ব্রিটেন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি করার পাশাপাশি দেশটিকে সামরিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণও দেয় প্রায় এক বছর পর সরকার তার মূল্যায়ন শেষে ঘোষণা করে যে তারা অস্ত্র বিক্রি আবার শুরু করবে। \"সৌদি আরবের অভিপ্রায় সঠিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার ক্ষমতা দেশটি রাখে,\" জানান ব্রিটেনের বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি সরকারি বক্তব্য তুলে ধরে বলেন যে সেখানে আইন লঙ্ঘনের \"বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা\" ঘটেছে মাত্র। এমপিদের কাছে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, \"যেসব ঘটনা আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন বলে সরকারকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তা ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন কারণে।\" সমালোচনা কেন? ব্রিটেনের লেবার পার্টির এমিলি থর্নবেরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে বিরোধী দলের মুখপাত্র। তিনি মনে করেন যে সরকার তার এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে \"নৈতিক যুক্তি\" দিতে পারবে না, এবং তিনি বলেছেন এর মাধ্যমে ব্রিটেনের \"মানবাধিকারের পক্ষের ভাবমূর্তি\" ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গত বছর ব্রিটিশ সরকারকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল যে অস্ত্র ব্যবসা-বিরোধী সংগঠন, সেই 'দ্যা ক্যাম্পেইন এগেনস্ট আমর্স ট্রেড বা ক্যাট' বলছে এটি \"নৈতিকভাবে দেউলিয়া\" একটা সিদ্ধান্ত। ধারণা করা হয়, ইয়েমেনে বিশ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে মধ্যপ্রাচ্যে বিমান হামলায় হতাহাতের বিষয়টি নজরদারি করে এমন একটি ব্রিটিশ-ভিত্তিক সংস্থা 'এয়ারওয়ারস্' বলছে, সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার প্রক্রিয়া সন্দেহজনক এবং অনির্ভরযোগ্য। এই সংগঠনটির দাবি, মিত্র দেশ সৌদিদের কথা যদি ছেড়েও দেয়া হয়, তারপরেও ব্রিটেন নিজেই যে সংখ্যায় বিমান ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। \"ব্রিটেন তদন্তের ক্ষেত্রে যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে, তাতে বেসামরিক মানুষের ক্ষতির বিষয়টা স্বীকার করে নেয়ার পথ অসম্ভব করে দেয়া হয়েছে,\" বলছে এয়ারওয়ারস্। সংগঠনটি তাদের যুক্তির সমর্থনে ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের পাঁচ বছর ব্যাপী লড়াইকে দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরেছে। ব্রিটিশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হিসাবে সিরিয়া ও ইরাকে ব্রিটেন \"আইসিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৪,৪০০ অস্ত্র\" দিয়েছে। কিন্তু ব্রিটেনের হিসাব বলে, এর মধ্যে ব্রিটিশ বিমান বাহিনী রয়াল এয়ার ফোর্সের হামলায় মারা গেছে মাত্র একজন বেসামরিক মানুষ। এয়ারওয়ারস্-এর হিসাবে নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ছিল ৮,০০০ থেকে ১৩,০০০ এবং বেসামরিক মৃত্যু নথিভুক্ত করার ব্রিটিশ পদ্ধতি তাদের মতে \"অবাস্তব, অযৌক্তিক\"। কী পরিমাণ অর্থ জড়িত? ক্যাট বলছে, ২০১৫ সালে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রিটেন লাইসেন্স-এর অধীনে সৌদি আরবে ৫৩০ কোটি পাউন্ড অর্থমূল্যের অস্ত্র বিক্রি করেছে। সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র সংগঠনটি বলছে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরবের মিত্র অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে আরও একশো' কোটি পাউন্ডের অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স ব্রিটেন পেয়েছে। তবে ক্যাটের হিসাবে এর বাইরে আরও রয়েছে লাইসেন্স মুক্ত অস্ত্রের বিক্রি - এবং সামরিক সরঞ্জামের দেখভাল, কারিগরি ও সরবরাহ বাবদ অস্ত্র বিক্রি সংক্রান্ত আরও নানা চুক্তি থেকে অর্জিত মুনাফা। তাদের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছে ব্রিটেনের বিক্রি করা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মূল্য \"অন্তত ১৬ বিলিয়ন পাউন্ড\" (দু'হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি)। যেসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ব্রিটেন বিক্রি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে টাইফুন এবং টর্নেডো জঙ্গী বিমান, এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের বোমা। সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও ব্রিটেন সৌদি জোট বাহিনীকে সামরিক পরামর্শ দিয়েছে, যার মধ্যে আছে লক্ষ্যবস্তুর ওপর বোমাবর্ষণ এবং কৌশল সংক্রান্ত পরামর্শ, এবং সৌদি সেনাদের ব্রিটেনে প্রশিক্ষণ দান। বিষয়টা কি শুধুই ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রির? সৌদি আরব ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যে পরিমাণ অস্ত্র আমদানি করেছে তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ অস্ত্র্র এসেছে আমেরিকা থেকে - জানাচ্ছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশানাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেন - তারা বিক্রি করেছে সৌদিতে মোট আমদানি করা অস্ত্রের ১৩ শতাংশ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্স বিক্রি করেছে ৪.৩ শতাংশ। সেই হিসাবে দেখলে, আমেরিকার তুলনায় ব্রিটিশ অস্ত্র চুক্তির পরিমাণ অনেকই কম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? সমঝোতা সত্ত্বেও যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে ইয়েমেনের জন্য সংগ্রহ করা ত্রাণ কোথায় যায়? সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট যে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়নি সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একজন গবেষক পিয়েটার ডি ওয়েজম্যান বলছেন, আমেরিকা গত পাঁচ বছরে যত অস্ত্র বিক্রি করেছে, তার অর্ধেক বিক্রি করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি করা অস্ত্রের অর্ধেকই কিনেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব ও তার শরীক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বর্ণনা করেছেন \"এলাকায় ইরান এবং তার দোসরদের দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে একটা সুরক্ষা দেয়াল\" হিসাবে। ইরান ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন জোগাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে লড়ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তবে হুতিদের সমর্থন জোগানোর অভিযোগ তেহরান অস্বীকার করে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে? ব্রিটেনের সংবাদপত্র ফাইনানশিয়াল টাইমস-এ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এক নিবন্ধে লিখেছেন যে ব্রিটেন ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে এবং মানবিক ত্রাণ ব্যবস্থায় অংশ নিচ্ছে। ইয়েমেনে দেশ জুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশটিতে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ডে সাহায্য করার জন্য ব্রিটেন, জার্মানি এবং সুইডেন যৌথভাবে অতিরিক্ত ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইয়েমেনে এ যাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক কলেরার প্রাদুর্ভাব ছাড়াও, দেশটি কোভিড-১৯এর প্রকোপ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। দেশটির চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থার মাত্র অর্ধেক এ পর্যন্ত কাজ করছে। জাতিসংঘ আশংকা করছে ইয়েমেনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ বছরের যুদ্ধে দেশটিতে যে প্রাণহানি হয়েছে তাকে ব্যাপকমাত্রায় ছাড়িয়ে যাবে এপ্রিল মাসে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরব একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু হুতিরা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। তারা দাবি করে রাজধানী সানা এবং বন্দরনগরী হুদাইদা থেকে আকাশপথে ও সমুদ্রপথে দেয়া সব রকম অবরোধ তুলে নিতে হবে। ফলে অচলাবস্থার নিরসন এখনও হয়নি। জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে যুদ্ধে এ পর্যন্ত দেশটিতে যে ধ্বংসলীলা হয়েছে, তাকে হয়তো বহু গুণে ছাপিয়ে যাবে আগামীতে ধ্বংসের যে চিত্র আশংকা করা হচ্ছে, তা। জাতিসংঘ বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ইয়েমেনে মৃত্যুর সংখ্যা হয়ত \"গত পাঁচ বছরে দেশটিতে যুদ্ধ, রোগব্যাধি ও অনাহারে মৃত্যুর মোট সংখ্যাকে অনেকাংশে ছাড়িয়ে যাবে\"।", "doc2": "Burtaniya ce ke sayar wa Saudiyya makaman da take yaki da su a Yemen Ga wasu tambayoyi bakwai masu sarkakiya kan ce-ce-ku-cen. Me ya hada wadannan kasashen uku wuri guda? Kasar mai arzikin man fetur ita ce ke sahun gaba wajen sayen makamai a duniya, kuma ita ke jagorantar hare-haren kakkabe 'yan tawaye a Yemen, wadda ita ce kasar Larabawa mafi talauci a duniya. A wani rahotan da aka fitar a bara, Burtaniya ta yi ikirarin cewa ita ce kasa ta biyu mafi karfi wajen cinikin makami a duniya, an kiyasta cewa tana sayar da sama da kashi 40 cikin 100 na makamanta ga kasa daya tilo, wato Saudiyya. Hadaddiyar Daular Larabawa, UAE, da ke kawance da Saudiyya a yakin Yemen, ita ma tana cikin manyan kwastamomi, a cewar wani rahoton gwamnatin Burtaniya da aka fitar a 2019. Rahotan ya nuna cewa Amurka ce kawai ke gaban Burtaniya wajen cinikin makamai a duniya. Wane hali ake ciki a Yemen? MDD ta yi gargadi kan halin jin-kai na kasashen da ake yaki ke ciki Majalisar Dinkin Duniya ta binciki a kalla mutuwar farar hula dubu 7,700 a watan Maris din 2020, wanda akasari hare-haren sama da Saudiyya ke jagoranta ke haifarwa. Sai dai kiyasin sauran kungiyoyin da ke sa ido sun haura wannan alkaluma. Wata kungiya da ke sa ido kan yaki ta ACLED da ke Amurka, ta ce mutum dubu 100 aka kashe a watan Oktoban 2019, da suka hada da farar hula dubu 12 a hare-haren da aka kai musu kai tsaye. Kusan kashi 80 cikin 100 na al'ummar Yemen - wato mutum miliyan 24 - ke bukatar agajin jin-kai da kariya. Yara miliyan biyu aka kiyasta cewa na bukatar abinci mai gina jiki, cikin su dubu 360 'yan shekaru kasa da biyar ne. Me gwamnatin Burtaniya ke cewa? A lokacin bazara na bara masu fafutikar kare hakkin dan adam sun yi babbar nasara kan gwamnatin Burtaniya, bayan sun hana shigar da makamanta Saudiyya bisa umarni kotu, hakan ya tilasta wa kasar sake nazarin tsare-tsarenta da duba ko hakan ya sabawa dokokin kasa da kasa a Yemen. Burtaniya na taimaka wa Saudiyya da dabarun yaki Bayan kusan shekara guda, gwamnati ta kammala nazarinta na sanar da cewa za ta dawo da cinikin makamai. ''Saudiyya na da kyakyawar manufa da kuma ikon bin dokar kasa da kasa kan jin-kai,'' a cewar sakatariyar kasuwanci ta duniya Liz Truss, hakan ya danne nazarin gwamnati a kan hare-hare. ''Hare-haren da ake nazari a kai sun shafi wadanda ake zargin ko sun karya doka a lokuta da dama, a wuri daban-daban kan dalilai na daban,'' a cewar sanarwarta da ta aike wa Majalisar Dinkin Duniya, MDD. Me masu adawa ke cewa? Emily Thomberry ta Jam'iyyar Labour, wacce ke magana a madadin 'yan adawa a hukumar kasuwanci, ta bayyana matakin gwamnati a matsayin ''hujojji marasa karfi'', wadda ta ce sun saba ikirarin gwamnatin Burtaniya na mutunta hakkin dan adam''. Ta ce gangamin adawa da cinikin makami da aka kai gaban kotu a bara, hukuncin da aka yanke ''babu adalci''. Yara miliyan biyu na cikin yunwa sakamakon yaki a Yemen Kungiyar Airwars da ke da cibiya a Burtaniya na sa ido kan yake-yake da farar hular da ake kashewa a Gabas Ta Tsakiya, ta nuna shakku kan hikimar gwamnatocin da ke taimaka wa Saudiyya. Kungiyar ta ce akwai shakku kan alkaluman da Burtaniya ke fitarwa na hare-harenta, ballantana a yi batun Saudiyya da suke kawance a yakin. ''Binciken da ya kai wani mataki na rashin sahihanci abin tambaya ne a Burtaniya, kasar da ta amsa cewa ana yi wa farar-hula illa,'' a cewar Airways. Kungiyar ta ba da misali da hare-hare shekaru biyar da Burtaniya ta rinka kai wa a kan kungiyar IS. A cewar alkaluman gwamnatin Burtaniya, ''Makaman yaki da ISIS 4,400 aka fitar'' wanda aka shigarwa Syria da Iraki karkashin dakarun Burtaniya da ke cikin sojojin da Amurka ke jagoranta. Burtaniya ta ce sojojin Royal Air Force na da alhakin kashe a kalla farar hula guda a yakin. Airwars, da ta kiyasta kisan farar hula tsakanin dubu takwas zuwa goma, ta ce hanyar da Burtaniya ke bi wajen tattara alkalumanta na mamata ''ba daidai suke ba''. Nawa ne kudaden da ake magana akansu? Kungiyar da ke fafutikar adawa da sayar da makamai (CAAT) ta ce Burtaniya ta ba da lasisin makamai na fam biliyan 5.3 ga Saudiyya tun daga shekara ta 2015, lokacin da aka soma yakin Yemen. A cewar kungiyar, akwai karin biliyoyin fama-famai na kwangilar makamai da ta bayar da lasisinsu ga Saudiyya da kawayenta na yakin Gulf da suke yaki a Yeman tare. Sai dai CAAT ta ce wadannan alkaluma ba su hada da na makamai da ake sayar da su ba tare da lasisi ba, haka kudaden ribar da ke shigowa. Kungiyar ta kuma kiyasta cewa cinikin makamin da aka yi a kawancen da Saudiyya ke jagoranta a yakin Yemen ya kai a kalla ''fam biliyan 16''. Kayayyakin yakin da aka sayar sun hada da jiragen yaki samfurin Typhoon da Tornado, da kuma bama-bamai. Jami'an Burtaniya na kuma taimaka wa gamayar kasashen da dabarun yaki da kuma horas da sojojin Saudiyya da ke Burtaniya. Burtaniya kawai ke sayar da makamai? Yawan makaman da Burtaniya ke sayarwa bai taka kara ya karya ba duk da cewa tana cinikin nata a yankunan Atlantic har zuwa Saudiyya. Kashi kusan 70 cikin 100 na makaman da Saudiyya ta saya tsakanin 2015 zuwa 2019 na zuwa ne daga Amurka, a cewar rahotan cibiyar bincike ta Stockholm (SIPRI). Kasa ta biyu a jadawalin bincike ita ce Burtaniya, wacce ke sayar da kashi 13 cikin 100 na yawan makamin, sannan Faransa da ke ta uku da kaso 4.3 cikin 100. Mayakan Houthi sun yi watsi da tsagaita wuta Kusan rabin makamin da Amurka ke sayarwa a cikin shekarun biyar da suka gabata na zuwa ne Gabas Ta Tsakiya, kuma rabin wannan adadin Saudiyya ake tura su, a cewar Pieter D. Wezeman, babban jami'in bincike a SIPRI. Shugaba Trump na Amurka ya bayyana kasar Saudiyya da kawarta UAE a matsayin ''gungun kasashen da ke aikata ta'asa a Gabas Ta Tsakiya''. Akwai kyakkyawan zato cewa 'yan tawayen Houthi da kawancen Saudiyya ke yaka a Yemen na samun goyon bayan Iran, zargin da Tehran ta sha musantawa. Wane irin hasashen ake kan makoma? Sakataren harkokin wajen Burtaniya, Dominic Raab a wata makala da ya wallafa a jaridar Financial Times, ya bayyana cewa gwamnatin Burtaniya na kokarin kawo zaman lafiya a Yemen da kuma ba da gudunmawa a fannin jin-kai. Gwamnati ta sha kiran tsagaita wuta a Yemen, ya kara da cewa Burtaniya da Jamus da Sweden na neman taimakon hadin-gwiwar dala miliyan 365 a wannan shekarar domin taimaka wa ayyukan MDD a kasar. Baya ga barkewar cutar kwalara da aka samu, Yemen na kuma fama da annobar Covid-19, ga shi kuma rabin asibitocin kasar kawai ke aiki. The UN fears coronavirus deaths could dwarf the loss of life during the war MDD na fargabar cewa mace-mace sakamakon cutar korona ka iya rage mace-mace sakama A watan Afrilu, Saudiyya ta sanar da tsagaita wuta a kasar saboda annobar korona. Sai dai mayakan Houthi sun yi watsi da tsagaita wutar, inda suka bukaci a cire haramcin da aka sa a fanin sufurin jiragen sama dana ruwa a birnin kasar, Sanaa da tashar ruwan Hudaydah. A yanzu, haramcin na ci gaba da aiki, MDD kuma ta gargadi cewa yakin a nan gaba na iya zarta abin da aka gani a baya. Kungiyar ta ce alkaluman mamata sakamakon annobar korona na iya ''zarce alkaluman mamata sakamakon yakin kasar da cutuka da yunwa na cikin shekaru biyar''."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49547699", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49574785", "doc1": "ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিরোধী লেবার পার্টির এমপিরা যখন সরকারের এই উদ্যোগ থামানোর পরিকল্পনা করছে, তখন কনজারভেটিভ এমপিদের সতর্ক করে দেয়া হয়। পার্লামেন্টের হুইপ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে সরকার যে দরকষাকষি করছে বিদ্রোহীরা সেটি ভেস্তে দেবে। হুইপ অফিসের কাজ হচ্ছে, সরকারের চিন্তাধারা অনুযায়ী এমপিদের ভোট নিশ্চিত করা। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের বলা হয়েছে, তারা যদি 'নো ডিল ব্রেক্সিট' এর বিপক্ষে ভোট দেয় তাহলে তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। এর অর্থ হচ্ছে, বহিষ্কৃতরা আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী হতে পারবেন না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন ৩৮ লাখ বছর আগের মাথার খুলিই কি মানুষের পূর্বপুরুষ? আসাম এনআরসি: বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ কতটা? সব সময় ইতিবাচক থাকার ৬টি উপায় কোন চুক্তি ছাড়া ব্রিটেন যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের না হয় সেজন্য একদল এমপি সংসদে একটি আইন আনতে যাচ্ছে। তাদের এই উদ্যোগ তখনই সফল হবে, যদি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কিছু এমনি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। নো ডিল ব্রেক্সিট থামানোর জন্য বিরোধী লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রীসভা যখন বৈঠক করতে যাচ্ছে তখন ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের এই হুঁশিয়ারি দেয়া হলো। আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার কথা রয়েছে। সেটি চুক্তি হোক কিংবা না হোক। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর হুইপদের সাথে নিজ দলের এমপিদের সম্ভাব্য বিরোধিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কনজারভেটিভ হুইপ অফিসের একটি সূত্র বলেছে, \" মঙ্গলবার তাদের দলের সংসদ সদস্যরা যদি সরকারকে ভোট না দেয়, তাহলে তারা সরকারের দরকষাকষির অবস্থানকে ধ্বংস করবে এবং পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ জেরেমি করবিনের হাতে তুলে দেবে।\" ব্রেক্সিট বিষয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর একটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সে সূত্রটি বলেছে, \"এই চুক্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ, ব্রাসেলস অনুধাবন করেছে যে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।\"", "doc2": "Firai minista Boris Johnson na jawabi a gaban fadar gwamnatin Birtaniya Majalisar ta gudanar da zabe inda masu goyon bayan ta karbe ikon gudanarwa suka kayar da masu goyon bayan Firai ministan da kuri'u 328, inda ya sami 301. Wannan na nufin za su iya gabatar da kudurin doka da zai jinkirta ranar ficewar Birtaniya daga Tarayyar ta Turai. Amma Firai ministan ya fusata da matakin da 'yan majalisar suka dauka, kuma ya yi alkawarin gudanar da wani kudurin a yi zaben gama gari. Jagoran jam'iyyar adawa ta Labour Jeremy Corbyn Jagoran jam'iyyar adawa ta Labour Jeremy Corbyn ya nemi majalisar da ta tabbata an gabatar da kudurin hana Birtaniya ficewa daga Tarayyar Turai kafin a gudanar da zaben. Duka-duka, 'yan majalisa 21 ne daga jam'iyyar ta Conservative - ciki har da wasu tsofaffin ministoci - suka hada kai da 'yan adawa domin kayar da gwamnatin a kan wannan muhimmin batu. Bayan da aka kammala zaman majalisar, fadar Firai minista da ke lamba 10 Downing Street ta fitar da wata sanarwa da ke cewa za a nemi korar 'yan majalisar da suka yi boren daga jam'iyyar. Firai ministan ya so ya tsorata 'yan majalisar ne da gargadin da ya yi na korarsu daga jam'iyyar, amma hakan bai samu ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55530161", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55628692", "doc1": "ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২০শে জানুয়ারির আগে কড়া নিরাপত্তা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে আগামী ২০ শে জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোর রাজধানীতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর থেকেই জো বাইডেনের শপথ গ্রহণকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশ সহ ৫ জন নিহত হয়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ৬ই জানুযারির মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘনের ঘটনা আর ঘটতে পারবে না। কি ধরণের সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা হচ্ছে? ট্রাম্প-সমর্থক এবং উগ্র-ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্কগুলো বিক্ষোভের একাধিক তারিখ ঘোষণা করেছে। এর একটিতে বলা হয়, আগামী ১৭ই জানুয়ারি আমেরিকার বিভিন্ন শহরে \"সশস্ত্র বিক্ষোভের\" ডাক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি পদযাত্রা হবে। আরো পড়তে পারেন: ক্যাপিটল হিলে হামলার পর কী হবে জো বাইডেনের অভিষেকের দিন ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেন, 'দুর্দান্ত সমর্থকদের' প্রশংসাও করলেন ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ সহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে সতর্কবাণী দেয়া হয়, একটি গোষ্ঠী সারা দেশে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় আদালত ভবনগুলোতে 'স্টর্মিং' বা জোর করে ঢুকে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ট্রাম্পকে কোনভাবে মেয়াদ শেষের আগেই সরিয়ে দিলে এটা করা হবে, আর তা না হলে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিনে এ ঘটনা ঘটানো হবে। অভিষেক হবে ২০শে জানুয়ারি। ৬ই জানুয়ারি সহিংসতা হয়েছে বহু শহরেই উল্লেখ্য গত ৬ই জানুয়ারি ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনের সহিংসতার ঘটনাই সংবাদ মাধ্যমে বেশি প্রচার পেয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের আরো নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছিল তবে তা ছিল ছোট আকারের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম বলছে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেই স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বলে দিয়েছে যেন তারা রাষ্ট্রীয় ভবনগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করে। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'বিপর্যয়ের হুমকি এড়ানোর জন্য' ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২৪শে জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। রাজধানীতে এর পর ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে এবং আরো ৫ হাজার সেনা প্রয়োজনে মোতায়েনের জন্য তৈরি থাকবে।", "doc2": "An tsaurara matakan tsaro a majalisar Amurka bayan kutsen da magoya bayan Mista Trump suka yi a makon jiya Hakan ne ya sa aka dauki karin matakan tsaro a birnin Washington DC. An jibge jami'an 'yan sanda da na soji a sassa daban-daban na birnin. FBI ta ce ta samu bayanan da ke nuna cewa magoya bayan Shugaban Amurka Donald Trump ba su saduda ba - domin a halin da ake ciki, suna kitsa wani gagarumin shiri na yunkurin hana a rantsar da zababben shugaba Joe Biden a gaban majalisar kasar. Majalisar da a makon jiya su ka kai wani mummunan samame har ta kai ga mutum shida sun rasa rayukansu. Jami'an tsaro na cikin gida kan kulle wani bangare na birnin Washington ana kwana guda gabanin a gudanar da bikin. Amma saboda barazanar da ake fuskanta, za su kulle yawancin birnin ne tun ranar Laraba, kwana shida kafin ranar bikin. Za a baza jami'an soji 10,000 na ko-ta-kwana wato National Guard a birnin, inda za su yi aiki kafada da kafada da sauran jami'an tsaro na gwamnatin tarayya da na jihohi karkashin wata cibiya ta hadin gwuiwa. A wani bangaren kuma, Magajin Garin Washington Muriel Bowser ta dakatar da ba mutane izinin shiga dukkan wuraren shakatawa na cikin birnin domin rage yawan mutanen da za su iya kwarara zuwa wajen bikin. Gwamnonin jihohi biyu da ke makwabtaka da babban birnin na Washington DC suna ta yin kira ga al'umominsu da su yi zamansu a gida. Ama duk da wannan barazanarr ta tsaro, jami'an 'yan sanda na ci gaba da gudanar da bincike kuma suna ta ganowa ada damke wasu daga cikin magoya bayan shugaba Trump da suka afka wa ginin majalisar kasar wanda aka fi sani da Capitol. 'Yan majalisar kasar kuma karkashin jagorancin Nancy Pelosi, kakakin majalisar wakilan kasar da jam'iyyar Democrat an ci gaba da shirinsu na tsige shugaba Trump duk da kwanaki kalilan ne su ka rage ya sauka daga mukamin nasa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49588160", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53148442", "doc1": "স্বামীর মৃত্যুতে হতাশায় ডুবে যান বেশির ভাগ নারী কোন কোন সংস্কৃতিতে বিধবাদের খাওয়ার সময় খেতে ডাকা হয় না, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মানা কোথাও কোথাও, এবং কোথাওবা খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত অসম্মানজনক ও বিপজ্জনক রীতি চালু আছে। ঘানাতে দরিদ্র বিধবাদের অবস্থা হয় শোচনীয়। দেশের সরকার বিধবাদের পালনীয় রীতির মধ্য থেকে বিপজ্জনক রীতিগুলো সংস্কার করলেও, এখনো অনেকে সেসব আঁকড়ে আছেন। কেউ কেউ এখনো পুষ্টিকর খাবার খান না। দেশটিতে এখনো রীতি আছে যেখানে বিধবাদের তাদের মৃত স্বামীর শরীরের অংশ দিয়ে বানানো স্যুপ বা খাবার খেতে হয়। আরো পড়ুন: পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে আবহাওয়া কেমন? ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিস জনসনের দফায় দফায় পরাজয় রাতে ইন্টারনেট বন্ধ রোহিঙ্গা শিবিরে, বিদেশি এনজিও বন্ধ ঘানার অনেক জায়গায় মৃত স্বামীর শরীরের অংশ দিয়ে বানানো স্যুপ বা খাবার খেতে দেয়া হয় বিধবাদের ঘানার উত্তরে বিধবাদের কল্যাণে স্থাপিত এক সংস্থার কর্মকর্তা ফাতি আব্দুলাই জানিয়েছেন, খাবার বানানোর কাজে মৃতের চুল আর নখ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, মৃতদেহকে গোসল দেয়া হয় যে পানি দিয়ে, সেই পানি পান করতে দেয়া হয় মৃতের স্ত্রীকে। অনেক বিধবাই এখন আর এসব রীতি মানেন না। তবে যারা দরিদ্র তারা সে সাহস দেখাতে পারেন না, বাধ্য হয়ে এখনো তাদের সেসব মানতে হয়। যেহেতু স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি তার পরিবারে ফেরত যায়, তার ফলে অনেক বিধবা জমির অধিকার হারান যদি না তিনি মৃত স্বামীর পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে বিয়ে না করেন। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে সাড়ে ২৮ কোটি বিধবা নারী রয়েছেন, যাদের দশজনে একজন চরম দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন। জাতিসংঘের হিসাবে অনেক দেশে বিধবাদের সাথে যেসব অমানবিক আচরণ করা হয়, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। চিত্রিতা ব্যাঙ্গার জির মা অনিতা ব্যানার্জি এবং ঠাকুমা প্রভাতী মুখার্জী \"মাছ, মাংস আর ডিম নিষিদ্ধ\" পৃথিবীর অনেক জায়গাতে এমনকি বিত্তশালী পরিবারেও বিধবাদের অমর্যাদাকর নিয়ম মানতে বাধ্য করা হয়। সাহিত্যিক ও বাঙ্গালী খাবার বিশেষজ্ঞ চিত্রিতা ব্যাঙ্গার জি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চবর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক দশক আগেও বিধবাদের স্বাভাবিক জীবন ছিল না। তাদের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। \"অর্থাৎ সব ধরণের পুষ্টিকর খাবার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হত, যেন বিধবারা কোন পাপ করেছেন, যেন স্বামী মারা যাবার পেছনে তাদের দায় আছে।\" জি শৈশবে তার নিজের দাদী বা ঠাকুমার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখেছেন। \"হঠাৎ করে তার উজ্জ্বল শাড়ি আর গয়না সব বাতিল হয়ে গেল, পরিবারের সঙ্গে তিনি আর খাবার খান না, এবং সব খাবার খেতেও পারেন না। কিন্তু যখন রাঁধেন অনেক কিছুই খুবই সুস্বাদু ছিল।\" জি দেখেছেন, পেঁয়াজের বদলে তিনি হিং ব্যবহার করতেন, যা একই ধরণের ফ্লেভার আনত খাবারে। বিধবাদের সাথে খাবার নিয়ে এ ধরণের আচরণে শারীরিকভাবে তো বটেই, মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়তেন অনেকে। কেবল শারীরিক নয় মানসিক ভাবেও ভেঙ্গে পড়েন নারীরা চীন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানেও বিধবা নারীদের খাবারের মান ও বৈচিত্র প্রায় থাকেই না, এবং স্বাভাবিকভাবেই তাদের ওজন কমে যায়। সত্তর এবং আশির দশকে কানাডার বিধবাদের জীবন নিয়ে গবেষণা করেছেন পুষ্টিবিদ এলিজাবেথ ভেসনাভার। \"আমি আমার দাদী এবং নানীকে দেখেছি প্রায় বিপরীত জীবন কাটাতে। একজন স্বামী মারা যাবার দুই বছরের মাথায় কোন রকম প্রকট অসুখ ছাড়াই মারা গেছেন। আরেকজন খাবারদাবারকে একেবারে ওষুধ জ্ঞান করতেন, এবং নিজের যত্ন নিতেন।\" আয়ু হ্রাস ভেসনাভার দেখেছেন, স্বামী মারা যাবার পরের দুই বছরের মধ্যে স্ত্রীর মারা যাবার খুবই ঝুঁকি থাকে। তিনি মনে করেন এর পেছনে বড় কারণ খাবার। গবেষণায় তিনি দেখেছেন, বৈধব্যকালে লোকের খাবার এবং পুষ্টির নিয়মিত প্যাটার্ন বদলে যায়। আয়ু কমে যাবার পেছনে কম খাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা না থাকা এসব অনেকটাই দায়ী। তবে কেবল খাবারই নয়, এসময় মানসিক অবসাদ অনেকটাই গ্রাস করে তাদের। অনেকের জীবন থেকে আনন্দ হারিয়ে যায়, আগের মত দায়িত্ব পালন করতে চান না অনেকে। এ ব্যপারটি পুরুষদের ক্ষেত্রেও অর্থাৎ যাদের স্ত্রী মারা যান আগে, তাদের সাথেও ঘটে। একজন সাবেক সাংবাদিক ও ব্রডকাস্টার মাইকেল ফ্রিডল্যান্ডের স্ত্রী মারা যাবার পর তাকে জীবনে ফিরতে হয়েছিল ছেলেমেয়েদের সাহায্যে। তিনি কোন কিছুতেই উৎসাহ পেতেন না। পরে তাকে একটি রান্না শেখানোর স্কুলে নিয়ে যায় ছেলেমেয়েরা। এখন তিনি সামলে উঠেছেন। বিয়ের দিন এবং ৫০ তম বিবাহবার্ষিকীতে মাইকেল ফ্রিডল্যান্ড ও তা স্ত্রী সারা কী করা দরকার? ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা লেখক লিসা কল্ব বিয়ের ১৯ মাস পরে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, জীবনসঙ্গী হারানোর পর মানুষ প্রবলভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। এ সময় একা না থাকাই ভালো, মানুষজনের সাহচর্য এ সময় দারুণ উপকারে আসে। পরিবারের অন্য সদস্য বা বন্ধু কারো সাথে খেতে যাওয়া অথবা তাদের সঙ্গে বাড়িতেই যদি রান্না করা যায়, সেটাও কাজে দেবে। তাকে বোঝাতে হবে তিনি একা নন, এবং তার গুরুত্ব আছে। যদি নান জানেন সদ্য স্বামী বা স্ত্রী হারা কাউকে কিভাবে সান্ত্বনা দেবেন, দয়া করে সহানুভূতি নিয়ে পাশে দাঁড়ান, তাদের সঙ্গ দিন, বা তাদের দেখতে যান। হয়তো এর মাধ্যমে তাকে জীবনে ফিরিয়ে আনার বিরাট এক উদ্যোগ আপনি নিলেন।", "doc2": "A wasu al'adun ana hana macen da ke zawarci cin abinci a lokutan da suka dace, haramta mata cin abinci mai gina jiki, da kuma tilasta mata aiwatar da wasu al'adu masu hadari kan cin abinci. A Ghana, bazawara da ke cikin talauci ta fi shiga azaba. Yayin da kasar ke kokarin kawo karshen rashin ganin daraja da wasu al'adu masu hadari da ake tilastawa mata su yi a lokacin makokin mijinsu, har yanzu akwai zawarawa da ake hanawa cin abinci mai gina jiki - ko sama da hakan ma. Akwai al'adar da ke tilastawa bazawara shan miyan da aka yi da wani sassa na jikin mijinta da ya rasu. A wasu sassan Ghana ana tilastawa macen da mijinta ya rasu ta sha miyar da aka yi da gashi ko farcensa ''Ana amfani da gashi ko farcen miji, ana yi wa gawarsa wanka sannan a bai wa mace ruwan ta sha,'' a cewar Fati Abdulai, darakta a wata kungiya da ke kare hakkin zawarawa da marayu a arewacin Ghana. Wasu zawarawan na iya kalubantar wannan cin zarafi ko su bijirewa al'adar - amma wasu musamman talakawa ba sa iya wa. Sannan da yake a wasu al'adun dukiyar miji na koma wa hannu 'yan uwansa idan ya mutu, mata da dama na rasa dukiyoyi da filaye - sai dai idan sun amince su auri daya daga cikin 'yan uwan mijin da ya rasu. An kiyasta cewa a duniya akwai mata miliyan 285 da ke rayuwar zawarci, sannan mutum daya cikin 10 na cikin matsanancin talauci. A kasashe da dama, matar da ta rasa mijinta ana kyamatarta ga kuma gori - Majalisar Dinkin Duniya ta bayyana cin zarafin da ake yi wa zawarawa a matsayin keta hakki mafi muni na rayuwa. ''Haramci kan kifi, nama da kwai'' A wasu yankunan duniya tsangwamar da ke tattare da zawarci ba a kan matalauta kawai ta tsaya ba har yankunan da mutane ke tunkahon arziki. A cewar Chitrita Banger Gee, wata masaniyar tarihi da ke rubuta litattafai, a kabilar Hindu a yammacin Bengal, a shekarun baya a kan tilastawa zawarawa su yi bayanin yadda suka kashe mazajensu. ''A kan haramta musu cin kifi da nama da kwai da albasa da tafarnuwa - cikin irin wannan al'ada suka rayu kafin daga bisani al'adar ta gushe,'' a cewar Gee. ''Abin da ake kokarin aiwatarwa shi ne hana su cin abinci mai gina jiki - kamar laifin matan ne, wato ta aikata zunubi kenan, ana azabtar da ita - ana cimma wannan nasara ce ta hanyar hana ta abinci.'' Chitrita's Banger Gee da mahaifiyarta Anita Banerjee da kakarta Prabhabati Mukerjee Wannan wani yanayi ne da Gee ta taba shaidawa ta na karama, lokacin da mijin kakarta ya rasu. ''A wurina wani sabon sauyi ne - ta sauya kayan da take sanyawa daga tufafi masu kala zuwa fari babu batun amfani da sarkoki ko dan kune. Ta daina cin abinci da 'yan uwa kuma ba komai take ci ba, saboda akwai abincin da aka haramta mata.'' ''Amma idan ta yi girki, wasu abincin nata akwai dadi sosai.'' A matsayinta na masaniya kan abinci, Banger Gee ta ga yadda kakarta ta sauya abincin da aka haramta mata da kayan dandano. ''Ba ta cin albasa, don haka sai ta yi amfani da wanda aka sarrafa ko abin da zai ba ta irin wannan armashin a girki,'' a cewar Gee. Duk inda muka je a duniya, idan muna cikin jimami, muna bukatar abinci mai lafiya da kwantar da hankali. Amma rasa mutumin da muke yawan cin abinci tare abu ne mai wahalar gaske - yana da rikitarwa da shafar lafiyar kwakwalwa. Wani bincike da aka aiwatar a China, Turai da Amurka, ya gano cewa tsakanin mutane masu shekaru, zawarci na lalata mutum ne saboda rashin abinci mai lafiya da inganci, hakan kuma na sa rama. Elisabeth Vesnaver, da ke bincike kan abinci mai gina jiki, ta yi nazari mai zurfi kan abincin da zawarawa ke ci a Canada wayanda shekarunsu ke tsakanin 70 zuwa 80. ''Ina da kakani biyu kuma kowace da yanayin da ta tsinci kanta,'' a cewar Vesnaver. ''Daya bayan mutuwar mijinta, cikin shekaru biyu ta mutu kuma babu wata cuta da aka danganta wacce ita ce sanadi mutuwarta, kawai abin da aka gano shi ne cimakarta. Kalubale ko Tasiri Vesnaver ta gano cewa irin wadanan zawarawa na fuskantar kalubalen mutuwa a shekarun biyu farko bayan mutuwar mijinsu. Ana samun karuwar mace-mace, sannan tana da yardar cewa abinci na tasiri wajen haddasa mutuwar. ''Haka nan bincike ya nuna cewa abinci da yanayin cin abincin na tasiri a rayuwar zawarci,'' a cewar Vesnaver.'' ''Mun shaidi karuwar cin abinci marasa inganci, ramar da ba a shiryawa ba, da rashin jindadi. Sannan maza tsoffi sun koyi girki da ciyar da kan su.'' Ta kara da cewa abin bai tsaya kawai a kan komawa tamkar wanda ciwon yunwa ya kama ba. ''Wani abun mamaki game da mata shi ne kowacce da irin yanayin da ta shiga ko abin da ta fahimta dangane da rayuwa ko yanayi da ma tasirinsa.'' Daya daga cikin irin wannan mata ta shaidawa wasu bincike cewa lokacin da mijinta ya mutu, ba ta da dalilin motsawa ko tashi daga gado. Tana iya shafe tsawon wuni ko daga 11 na safe har 3 na yamma a kwance, batun abinci kuwa sai yadda hali ya yi. Lisa Kolb da mijinta marigayi Erik Kolb Ta ya ya za a iya taimakwa mutane da ke zawarci? Lisa Kolb, marubuciya ce kuma tsohuwar jami'a da ke rayuwa a Washington DC, ta bada wasu shawarwari. Ta rasa mijinta Erik a wani hadari watannin 19 da aurensu. Shekarunsu 34 kowanne a wannan lokacin. ''Tare da mijinka sai kuyi girki tare, cin abinci tare, tafiya taruka da wurin chashewa - idan ka rasa wannan kuma to ka shiga kadaici, sannan zama kai kadai a teburin cin abinci babu miji da ka saba da shi akwai wahala,'' a cewarta. ''Duk da cewa cin abinci na da muhimmanci, zama tare da mutane a ci abincin ya fi dadi. Amma wanda ya shiga wannan yanayin kadai ne zai fahimci hakan.'' These interviews featured on an award-winning episode of The Food Chain Widowed: Food after loss on BBC World Service."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46194839", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/shirye-shirye-na-musamman-55961426", "doc1": "অল্প বয়সেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হতে পারে। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও যতো মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এখানে তার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো। ডায়াবেটিস কেন হয়? আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে। শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে। রিফাইন করা চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কি কি ধরনের ডায়াবেটিস আছে? ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এরকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত। অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই ধরনের ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। এই অগ্ন্যাশয়ে তৈরি হয় ইনসুলিন। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচন: কীভাবে দলগুলো প্রার্থী নির্বাচন করে নির্বাচনের জন্য কতোটা প্রস্তুত বিএনপি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালেরও খেতাব হারালেন সু চি হিরো আলমকে নিয়েই কেন এতো আলোচনা? সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয় তাদেরও এই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। সন্তানসম্ভবা হলে পরেও অনেক নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের এবং সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমানে তৈরি হতে না পারে, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ৬ থেকে ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীর চর্চ্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিসের উপসর্গ কী ক্লান্তি বোধ করা একটি বড় উপসর্গ। সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে: চিকিৎসকরা বলছেন, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের লক্ষণ শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে এবং বয়স বাড়ার সাথে সেটা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে। বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়ার পর থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার লোকজনের মধ্যে এই ঝুঁকি তৈরি হয় তাদের ২৫ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই। যাদের পিতামাতা, ভাই বোনের ডায়াবেটিস আছে, অথবা যাদের অতিরিক্ত ওজন, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের মানুষ, আফ্রো-ক্যারিবিয়ান অথবা কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান তাদেরও এই ঝুঁকি বেশি থাকে। ডায়াবেটিস কি প্রতিরোধ করা সম্ভব? ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। মৃসন শাদা আটার রুটির পরিবর্তে খেতে হবে ভুষিওয়ালা আটার রুটি। এটাই প্রথম ধাপ। এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনি জাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি। আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক সব্জি, ফল, বিন্স এবং মোটা দানার খাদ্য শস্য। স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল। এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার। শরীর চর্চ্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রখা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার মতো ব্যায়াম করা দরকার। তার মধ্যে দ্রুত হাঁটা এবং সিড়ি বেয়ে ওপরে ওঠাও রয়েছে। শারীরিকভাবে থাকতে হবে সক্রিয়। ওজন কম রাখলেও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে। সপ্তাহে আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত। ধূমপান পরিহার করাও জরুরী। নজর রাখতে হবে কোলস্টেরলের মাত্রার ওপর। এর মাত্রা বেশি হলে হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের কারণে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে? রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে পায়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস। হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। কতো মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ কোটি। ২০১৪ সালে সেটা বেড়ে হয় ৪২ কোটিরও বেশি। ১৯৮০ সালে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার হার ছিল ৫ শতাংশেরও কম কিন্তু ২০১৪ সালের তাদের সংখ্যা বেড়ে দা*ড়িযেছে ৮ দশকি ৫ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, প্রাপ্ত বয়স্ক যেসব মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশের, যেখানে খুব দ্রুত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটছে। সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালে ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।", "doc2": "Za ku iya latsa hoton sama domin sauraren cikakken shirin Ranar hudu ga watan Fabrairun kowace shekara ce aka kebe a matsayin ranar cutar kansa ko ciwon daji ta duniya. An kebe ranar ce domin kara fadakar da al'umma game a wannan cuta wadda bincike ya nuna tana sanadiyar mutuwar miliyoyin mutane a duk shekara a duniya. Filinmu na Ra'ayi Riga na wannan makon ya tattauna ne game da cutar, da nau'o'inta, da alamominta da kuma matakan da za a iya dauka domin shawo kanta kafin ta gagari magani. Shirin ya kuma ji irin matakan da gwamnatoci ke dauka na yaki da cutar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52414621", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51851283", "doc1": "জীবাণুনাশক শরীরে ঢুকিয়ে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করা যায় কিনা - তা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জীবাণুনাশকের ইঞ্জেকশন দিয়ে করোনাভাইরাস ধ্বংস করা যায় কি না - তা নিয়ে গবেষণা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসাথে, কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে (ইউভি) বা অতি-বেগুনি আলোকরশ্মির তাপ দিয়ে করোনাভাইরাস মেরে ফেলা যায় কিনা - সেটাও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মি.ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এসব পরামর্শের কথা জানার পর চিকিৎসা জগতের লোকজনের চোখ কপালে উঠেছে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাদের অনেকেই। কারণ, শরীরে জাবাণুনাশক ঢুকলে বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। এমনকী শরীরের বাইরের অংশও অতিমাত্রায় জীবাণুনাশকের সংস্পর্শে এলে তা চামড়া, চোখ, এমনকী শ্বাসযন্ত্রের জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে। কী বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে করোনা টাস্কফোর্সের এক ব্রিফিংয়ে সরকারি একজন কর্মকর্তা একটি গবেষণার ফলাফল হাজির করেন। তিনি দাবি করেন, তাদের ঐ গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সূর্যের আলো এবং তাপে করোনাভাইরাস দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। ঐ গবেষণার ফলাফলে আরো বলা হয় মুখের লালা এবং শ্বাসযন্ত্রের ফ্লুইডের মধ্যে ব্লিচ বা জীবাণুনাশক দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ভাইরাস মেরে ফেলা যায়। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল (অধিকতর শক্তিশালী জীবাণুনাশক) দিয়ে আরো দ্রুত ভাইরাস ধ্বংস করা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন ব্লিচ শুকলেও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অস্থায়ী প্রধান উইলিয়াম ব্রান্টের কাছ থেকে এসব কথা শোনার পরপরই উৎসাহিত হয়ে পড়েন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক রেসপন্স টিমের সমন্বয়কারী ড. ডেবরা ব্রিক্সের দিকে তাকিয়ে মি. ট্রাম্প বলেন, “সুতরাং আমরা যদি দেহকে আলট্রা-ভায়েলেট বা অন্য কোনো শক্তিশালী রশ্মির নিচে রাখি - তাহলে কি হয় আপনারা তা পরীক্ষা করে দেখুন।“ “ঐ আলোক রশ্মি চামড়ার ভেতর দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে রোগীর শরীরের ভেতর ঢুকিয়ে তার ফল কী হয়, তাও আপনারা দেখুন।“ এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শরীরে জীবাণুনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেন। “জীবাণুনাশক মিনিটের মধ্যে ভাইরাস ধ্বংস করে দিতে পারে। আমরা কি এমন কিছু করতে পারি যাতে দেহের মধ্যে জীবাণুনাশক ঢুকিয়ে দেহকে একেবারে জীবাণুমুক্ত করে ফেলা সম্ভব হয়।“ “সেটা পরীক্ষা করে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।“ এরপর নিজের মাথার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি একজন চিকিৎসক নই। কিন্তু আমি এমন একজন মানুষ যার যথেষ্ট ভালো...আপনারা বুঝতে পারছেন আমি কী বলছি।\" ড. ব্রিক্সের দিকে তাকিয়ে এরপর তিনি বলেন, তাপ এবং আলো প্রয়োগ করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কি না। ড. ব্রিক্স উত্তর দেন, তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু বাইরে থেকে তাপ এবং আলো প্রয়োগ করে চিকিৎসার কথা আমি জানিনা'' করোনাভাইরাস: বিশ্বে মৃত ও আক্রান্ত কোথায় কত? বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? প্রেসিডেন্ট তখন তাকে বলেন, “এটা পরীক্ষা করে দেখা গুরুত্বপূর্ণ।'' শরীরের ভেতর জীবাণুনাশক কি কাজ করে? বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা র‌্যাচেল শ্রারেয়ার বলছেন, জীবানুনাশক প্রয়োগ করে বাইরে যে কোনো জায়গায় ভাইরাস মেরে ফেলা যায়। এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে যে, সূর্যের আলোতে বেশিক্ষণ থাকলে ভাইরাস তাড়তাাড়ি মরে। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে ভাইরাস মরে কি না বা মরলেও কতক্ষণে মরে তার কোনো প্রমাণ এখনও নেই। ভাইরাস যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন তা দ্রুত সংখ্যায় বাড়তে থাকে, এবং শেষ পর্যন্ত ফুসফুসে গিয়ে ঢোকে। সে সময় শরীরের ভেতর জীবাণুনাশক ঢুকলে তা কাজ করার সম্ভাবনা আদৌ নেই। বরঞ্চ মানুষের জীবন চলে যেতে পারে। একইভাবে ভাইরাস শরীরে একবার ঢুকলে যত ইউভি রশ্মির সামনেই রোগীকে নেওয়া হোক না কেন, তাতে কোনো কাজ হবেনা। বরঞ্চ চামড়ার বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা কী বলছেন চিকিৎসকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শ শুনলে মানুষের জীবন চলে যেতে পারে। পালমোনোলজিস্ট ড. ভিন গুপ্তা বিবিসিকে বলেছেন, “শরীরে ভেতর জীবাণুনাশক ইঞ্জেক্ট করার এই ধারণা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, এবং বিপজ্জনক।'' তিনি বলেন, “মানুষ এই পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করে।'' যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার চিকিৎসক কাশিফ মাহমুদ বলেছেন, “ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আমি কখনই রোগীদের ফুসফুসে জীবাণুনাশকের ইঞ্জেকশন দিতে বলবো না, অথবা ইউভি রশ্মির নিচে তাকে রেখে দিতে বলবো না।'' “ট্রাম্পের কাছ থেকে মেডিকেল পরামর্শ নেবেন না।'' ইউভি রস্মি দিয়ে শরীরের ভেতর করেনাভাইরাস ধ্বংস করা যায় কিনা - তা তলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মি ট্রাম্প জুকারবার্গ সান ফ্রান্সিককো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জন বামস বলেন, ব্লিচ দিয়ে তৈরি জীবাণুনাশক শুঁকলেও শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, “ক্লোরিন ব্লিচ নাক দিয়ে শোঁকাটাও ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।“ মি ট্রাম্প করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ক্লোরোকুইনিন নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনার পর তিনি এখন অবশ্য তা নিয়ে আর কথা বলছেন না। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের এক হাসপাতালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লোরোকুইনিন দিয়ে যাদের করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি। এ সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন দপ্তর থেকে জনগণকে বাড়িতে অতিমাত্রায় জীবাণুনাশক ব্যবহার সম্পর্কে সাবধান করা হয়। এই দপ্তরের সাপ্তাহিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে মার্চের গোড়া থেকে জীবাণুনাশকের বিষক্রিয়া নিয়ে সাহায্য চাওয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে। কোভিডের চিকিৎসায় গোপনে ব্লিচ দিয়ে তৈরি নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে অনেক জায়গায় যা খেয়ে বমি-ডাইরিয়ার মত নানা সমস্যার অভিযোগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন।", "doc2": "Amma ya ce matakan \"masu karfi kuma wadanda suka zama dole\" ba za su shafi Burtaniya ba, wacce ke da mutum 460 da suka kamu da cutar. Wata sanarwa da aka fitar daga Fadar White House ta bayyana dalilan da suka sa aka haramta wa matafiya daga kasashe 26 kawai a Turai shiga Amurkar. Wannan yasa haramcin bai shafi wasu kasashen Turai ba, cikinsu har da Ireland. \"Don hana sabbin masu dauke da cutar shigo wa kasarmu, za mu haramta wa 'yan kasashen Turai shigowa,\" in ji Mista Trump ranar Laraba. \"Sabbin dokokin za su fara aiki ne da tsakar daren Juma'a,\" a cewarsa. Haramcin ba zai shafi 'yan asalin Amurka ba. Kawo yanzu, an samu mutum 1,135 masu dauke da cutar a fadin Amurka, inda 38 suka mutu. Mista Trump ya ce Taryyar Turai ta \"gaza daukar irin matakan\" da Amurka ta dauka don yaki da cutar. Shugaban na Amurka ya sha suka bisa matakan da ya dauka a kan cutar ta covid-19. A lokacin da suke mayar da martani kan jawabinsa, manyan 'yan Democrat sun ce kalaman nasa na da daga hankali kuma abin mamaki ne yadda Shugaba Trump bai yi komai ba kan rashin kayan gwaje-gwajen cutar a Amurka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53482302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-51767283", "doc1": "জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০শে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের ধারণা, মানবদেহে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে। কার্যকর টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনা বাড়ার সাথে সাথে আলোচনায় আসছে, কীভাবে এই টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। করোনাভাইরাসের টিকা কতটা জরুরি করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হলে সেটা মানুষের শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করে তুলবে, যা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। এর ফলে লকডাউন, কড়াকড়ি সহজে তুলে নেয়া যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব হবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন কতগুলো টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে জাতিসংঘের সর্বশেষ বিশে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে টিকা বানাতে ১৭৩ উদ্যোগ চলছে। আর ১৪০টি টিকার এখনো মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়নি। একে বলা হয় প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বিজ্ঞানীরা এখনো এসব টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন, পশু বা প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করছেন। উনিশটি টিকার কার্যক্রম রয়েছে প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল টেস্টিং শুরু হয়েছে। এর ফলে মানুষের ছোট একটি গ্রুপের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করে দেখা হয় যে, এটা নিরাপদ কিনা। সেই সঙ্গে এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলে, তাও যাচাই করা হয়। এগারোটি টিকা রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে, যেখানে এসব টিকা কতটা নিরাপদ, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই পর্যায়ে কয়েকশো মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এর নিরাপত্তা আর সঠিক মাত্রা নিরূপণের চেষ্টা করেন। বিশ্বে এখন তিনটি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয় যে, সেটা কতটা নিরাপদ, কতটা কার্যকর, বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয় কিনা। এখানে সফলতা পেলেই সাধারণত টিকার অনুমোদন হয়ে থাকে। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা তৃতীয় কোন দেশে করতে হয়। রাশিয়ার একটি ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করা হচ্ছে যারা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে জাতিসংঘের বিশে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যে তিনটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো হলো: সিনোভেক কোভিড-১৯ এর নিষ্ক্রিয় অংশের ওপর ভিত্তি করে একটি টিকা আবিষ্কারের কাজ করছে চীনের কোম্পানি সিনোভেক। প্রথম দফার পরীক্ষাগুলোয় এই টিকাটি বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এখন ব্রাজিল ও বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে, এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করে এই টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে। টিকাটি করোনাভাইরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তখন শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুঝতে পারে যে, কীভাবে করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে পরাস্ত করা যাবে। সম্প্রতি এর গবেষকরা ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করেছে। ভারতেও টিকাটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন/মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি ফুসফুসের টিকা নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট। এই টিকা যদিও সরাসরি কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করে না কিন্তু এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। কখন বাজারে আসতে পারে করোনাভাইরাসের টিকা? সাধারণত একটি টিকা আবিষ্কারে কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে পারে। তবে সেজন্যও বিজ্ঞানীদের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তারপরেও সেই টিকাটি কতটা কার্যক্ষম হবে, কেউ তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। বাংলাদেশ কীভাবে টিকা পাবে টিকা আবিষ্কার হলে উন্নত দেশগুলোকে সেটা আবিষ্কারকদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে। যেমন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির টিকার জন্য এর মধ্যেই এক কোটির চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। চাহিদা জানিয়েছে ব্রাজিলও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''যেসব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের বেশি, তাদের টিকা কিনতে হবে। কিন্তু বাংলোদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় যেহেতু তার চেয়ে কম, ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিনামূল্যে টিকা পাবে।'' তিনি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ এবং গাভি-র (টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকার পাওয়া ৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এসব সংস্থা নিজেদের অর্থে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌসী কাদরী এক নিবন্ধে লিখেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকার জন্য বাংলাদেশ অনেক আগ্রহ নিয়ে অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে। এক বা একাধিক টিকা যেন আমরা পরীক্ষা করতে পারি এবং আমরা যেন টিকা পেতে পারি, সেই চেষ্টা হচ্ছে। আমি আশাবাদী, যেসব দেশ কোভিড-১৯ এর টিকা প্রথম দিকে পাবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে। অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি কৌশল নির্ধারণ করা জরুরি। ''অনেক দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারত, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ডের মতো অনেক দেশ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে যুক্ত হতে পারেনি। তবে ডব্লিউএইচও সেটা আমাদের দেবে, এটা নিশ্চিত। '' অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, ''টিকা পাওয়ার আগেই বাংলাদেশকে নিজস্ব একটি কৌশল নির্ধারণ করতে হবে যে, কারা আগে টিকা পাবেন। সেই জনসংখ্যা কতো, দ্বিতীয় দফায় কারা পাবেন।'' ''এরপরে সংগ্রহের কৌশল ঠিক করতে হবে যে, আমাদের চাহিদা কত, কীভাবে কতটুকু পেতে পারি। সেটার ভিত্তিতে বাংলাদেশের কতো টিকা দরকার, সেটা ঠিক করতে হবে। কোন সোর্স থেকে কতটা পাবো ইত্যাদি ঠিক করতে হবে। '' বাংলাদেশে দুইটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এখনো কোন টিকা আবিষ্কৃত না হওয়ায় তারা কোনরকম উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি নেয়নি। অনেক দেশ বা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে কতো মানুষকে টিকা দিতে হবে? এটা বলা কঠিন যে, এই টিকা কতটা কার্যকর হবে। তবে ধারণা করা হয় যে, ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করার জন্য 'হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে' অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে। কিন্তু টিকাটি সফল হলেও এই সংখ্যা হবে কয়েকশো কোটি মানুষ। কারা আগে টিকা পাবেন টিকা যদি আবিষ্কার হয় আর প্রথমদিকে যদি সরবরাহ কম থাকে, তখন অবশ্যই গুরুত্বের বিচারে টিকা প্রদান করতে হবে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা, বিশেষ করে যারা কোভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসে বয়স্ক মানুষজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে টিকাটি সেই বয়সের ওপর কার্যকর হলে বয়সী ব্যক্তিরাও টিকা পাওয়ার তালিকায় এগিয়ে থাকবেন। যুক্তরাজ্য বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা, বিশেষ কোন কোন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের আগে টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে।", "doc2": "Yanzu haka, kasashe 33 cikin 47 da ke Afirka kudu da hamadar Sahara ne suke da na'urorin gwajin coronavirus, daga guda biyu da ake da su a watan Janairu An samu tabbacin bullar cutar a wasu kasashen Afrika, amma hukumomin wasu kasashen na ci gaba da yaki da labaran karya kan cutar ta coronavirus. 1. Ba a bukatar aske gemu saboda tsoron cutar coronavirus An rika watsa wani hoton zane-zane da hukumomin lafiya a Amurka suka kirkiro kan bukatar aske gemu ana cewa ya kamata masu gemun su rika askewa saboda tsoron cutar ta coronavirus. Amma hakan ba gaskiya ba ne. Jaridar Punch da ake wallafawa a Najeriya ta buga wani labari mai take: \"Cibiyar kula da cututtuka masu yaduwa ta yi kira a rika aske gemu don kauce wa kamuwa da coronavirus.\" Mun kara alamar \"karya\" wato \"false\" da kuma \"tsohon hoto\" a kan labaran karya ko tsoffin hotunan da aka sake amfani da su. Zane-zanen da Cibiyar kula da cututtuka masu yaduwa ta Amurka ta fitar sun nuna misalan hotuna daban-daban kan yadda mutum zai aske gashin fuskarsa da kuma irin askin da mutum bai kamata ya yi ba idan yana so ya sanya takunkumin fuska, wato respirator mask. An amince mutum ya yi aski nau'in Side Whiskers da the Zappa amma ba a yarda mutum ya yi aski nau'in Garibaldi da French Fork ba saboda ba za su bar mutum ya yi numfashi cikin yalwa ba. Zane-zanen na gaske ne - amma an yi su ne a 2017 (kafin barkewar cutar coronavirus) ga ma'aikatan da ke sanya takunkuman da ke hana su yin numfasi sosai. Kuma sabanin labaran da aka bayar, Cibiyar kula da cututtuka masu yaduwa ta Amurka bata wallafa zane-zanen kwanan nan ba kuma bata bayar da shawara mutane su aske gemu ba. Kafafen watsa labaran wasu kasashe sun bayar da wannan labari, inda dubban mutane suka yi ta watsa su. Kafar watsa labaran 7News ta kasar Australia ta wallafa labari a shafinta na Twitter da ke da taken: \"Yadda gemunka zai iya taimaka wa wurin yada coronavirus ba tare da ka sani ba.\" Shawarar da hukumomin lafiyar Birtaniya suka bayar a yanzu ita ce ko da yake sanya takunkumi yana da amfani ga ma'aikatan lafiya a asibiti, \"amma babu wata shaida da ke nuna cewa yana amfani ga sauran jama'a\". 2. Fasto yana yaki da coronavirus Ikirarin da wani fasto ya yi cewa yana maganin coronavirus ba gaskiya ba ne. Labarin fasto David Kingleo Elijah, daga Cocin the Glorious Mount of Possibility ya soma watsuwa a shafukan intanet bayan wani bidiyo da ya wallafa a YouTube da wasu shafukan sada zumunta inda yake cewa zai koma kasar China domin \"dakile\" cutar ta coronavirus. A cikin bidiyon ya ce: \"Zan je na dakile coronavirus ta hanyar amfani da mu'ujiza. Zan tafi China, Ina so na wargaza coronavirus.\" Kwanaki kadan bayan haka, wasu rahotanni da aka wallafa a shafukan intanet sun yi zargin cewa faston ya tafi China amma an kwantar da shi a asibiti sakamakon kamuwa da coronavirus. Amma shafukan na intanet sun ambato shi da suna na daban - Elija Emeka Chibuke. A zahiri, hoton da ya nuna shi a asibiti, hoto ne na Adeshina Adesanya, fitaccen dan wasan kwaikwayon Najeriya wanda aka fi sani da suna Pastor Ajidara, wanda ya mutu a asibiti a 2017. 3. Labarin karya kan direban tasi An wallafa labarin karya na wani direban tasi wanda aka ce ya kamu da coronavirus a shafukan sada zumunta - inda masu amfani da WhatsApp suka yi ta watsa shi. A cewar sakon, direban tasin shi ne ya dauko dan kasar Italiya wanda ya kamu da coronavirus ya kai shi wurin da aka killace shi. Daga nan ne gwamnatin jiar Ogun ta bukaci direban ya tafi asibiti. An yi ikirarin cewa direban ya kamu da coronavirus - amma ya tsere daga asibiti kuma ya yi barazanar yada cutar idan ba a ba shi Naira miliyan 100 ba. Hukumomi sun karyata labarin. Gwamnatin jihar Ogun ta yi watsi da wannan labari a wata sanarwa da ta fitar, tana mai cewa babu wani mutum da ya tsere daga cibiyar da ta ware domin kebe mutanen da suka kamu da coronavirus. An soma wallafa labarin ne a shafin bogi na gidan talbijin din Africa Independent Television (AIT), wanda ya fitar da sanarwar da ta ce shafin na Facebook ba nasu ba ne. Labarin na dauke da hoton direban wanda aka ce sunasa Adewale Isaac Olorogun. Amma shafin Buzzfeed ya taba wallafa wannan hoto a cikin wata makala kan kasar Libya inda ya bayyana shi da wani suna na daban - Jude Ikuenobe. Mr Ikuenobe ya shaida wa wakiliyar BBC, Yemisi Adegoke cewa ya yi matukar kaduwa da ganin yadda aka yi amfani da hotonsa a labarin kuma ya damu sosai kan sakonnin da wasu suke aike masa, ciki har da wadanda ke barazana ga rayuwarsa. \"Na daina yawo ko fita daga gida ni kadai. Duk inda zan je yanzu ina tafiya da abokai ko 'yan uwana.\"Na shiga mawuyacin halin tun lokacin da aka wallafa hotona.\" Mutumin na farko da aka tabbatar ya kamu da coronavirus a Najeriya, wani dan kasar Italiya ne da ya koma Lagos daga Milan ranar 25 ga watan Fabrairu. Hukumomi sun ce sun tuntubi kusan mutum 100 wadanda suka shiga jirgi ko kuma suka hadu da mutumin. 4. Wani sakon murya kan atisaye a Kenya ya jefa mutane cikin fargaba A Kenya, sai da gwamnati ta fitar da wata sanarwa inda ta karyata \"labaran karya\" a kan coronavirus, ciki har da wata murya da ta karade manhajar WhatsApp, inda ta yi ikirarin cewa sako ne na gwamnati da ta aike wa 'yan jarida. Sakon muryar ya yi ikirarin cewa an gano mutum 63 da suka kamu da cutar a kasar, amma ba gaskiya ba ne. A halin da ake ciki babu wanda ya kamu da cutar a Kenya. Ma'aikatar lafiyar kasar ta ce muryar wani bangare ne na atisaye kan sadarwa amma bata bayyana dalilin da ya sa aka fitar da muryar ga kowa da kowa ba. Dokokin Kenya sun tanadi tarar $50,000 ko daurin shekara biyu a gidan yari kan duk mutumin da aka samu da laifin watsa labaran karya a kan coronavirus. 5. Maganin coronavirus A Najeriya, wani Fasto ya wallafa sakon bidiyo inda ya yi ikirarin cewa shan farfesu yana maganin coronavirus. An yi ta watsa wannan batu a manhajar WhatsApp. Babu wani magani ko rigakafin coronavirus kuma ikirarin da faston ya yi bai yi cikakken bayani kan amfanin farfesu a fannin lafiya ba. Hukumar Lafiya ta Duniya, WHO, ta ce barkewar cutar coronavirus ya haddasa watsuwar labaran karya sosai. A Cape Verde, kasar da ke Yammacin Afirka, an watsa labarai a shafukan sada zumunta wadanda ke ikirarin cewa wani likita dan kasar Brazil ya bayar da shawara a rika shan wani nau'i na ganyen shayi mai suna fennel domin kauce wa kamuwa da coronavirus. Nan da nan farashin ganyen shayin ya tashi a kasuwanni, a cewar kamfanin dillacin labarai na AFP. Ma'aikatar Lafiya ta Brazil ta gargadi mutane su guji watsa labarin da ke cewa ganyen shayin na fennel yana rigakafin coronavirus. Hukumar Lafiya ta Duniya ta ce wanke hannu a kai a kai na cikin manyan abubuwan da ke hana kamuwa da cutar ta coronavirus."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53235778", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53230909", "doc1": "নতুন এই ফ্লু ভাইরাসের সাথে ২০০৯য়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সোয়াইন ফ্লু-র সাদৃশ্য আছে তারা বলছেন এটি জানা গেছে সম্প্রতি, এটি পাওয়া গেছে শূকরের দেহে, কিন্তু এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। গবেষকরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে এবং এভাবে এই ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারা বলছেন, যদিও অবিলম্বে এই ভাইরাসের এভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তারা করছেন না, কিন্তু মানুষকে আক্রমণ করার উপযোগী হয়ে ওঠার \"সব রকম লক্ষণ\" এই ভাইরাসের রয়েছে, যে কারণে এই ভাইরাসকে গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা জরুরি বলে তারা মনে করছেন। এই ভাইরাসটিও যেহেতু নতুন, তাই মানুষের এই জীবাণুর বিরুদ্ধে কোন ইমিউনিটিই থাকবে না, থাকলেও তা খুবই অল্পমাত্রায় থাকবে। প্রসিডিংস অফ দ্যা ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস সাময়িকীতে এই বিজ্ঞানীরা লিখছেন যে, শূকরের শরীরে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নেয়া পদক্ষেপ এবং শূকর পালন শিল্পের কর্মীদের নজরদারিতে রাখার প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করা উচিত। বাদুড় থেকে করোনাভাইরস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয় মহামারির হুমকি বিশ্ব যখন এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসকে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বিজ্ঞানীরা খারাপ প্রকৃতির ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড়ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তার সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বে সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ফ্লু ভাইরাস- সেটি ছিল ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর প্রার্দুভাব। তবে প্রথমে সোয়াইন ফ্লু যতটা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হতে পারে বলে ভাবা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কারণ অনেক বয়স্ক মানুষের ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা ইমিউনিটি ছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সেটার একটা কারণ সম্ভবত এর আগে অন্য যেসব ফ্লু ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করেছিল তার সাথে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের মিল ছিল। ওই সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস-এর বৈজ্ঞানিক নাম A/H1N1pdm09 (এ/এইচ১এন১পিডিএম০৯)। প্রতি বছর ফ্লু-র বিরুদ্ধে যে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন মানুষকে দেয়া হয়, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ওষুধও তাতে অন্তর্ভূক্ত থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এখন চীনে নতুন যে ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে তার সাথে ২০০৯-এর সোয়াইন ফ্লু-র মিল আছে। তবে এই নতুন ভাইরাস কিছুটা আলাদা। এই গবেষণার কাজে যুক্ত অধ্যাপক কিন-চোও চ্যাং এবং তার সহকর্মীরা বলছেন, এই ভাইরাস এখনও গুরুতর কোন হুমকি হয়ে ওঠেনি, তবে অবশ্যই এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রাখতে হবে। আশংকার কারণ কতটা? নতুন ভাইরাসটির নাম গবেষকরা দিয়েছেন জি৪ ইএ এইচ১এন১ (G4 EA H1N1)। মানুষের শ্বাসনালীতে যে কোষ থাকে সেখানে এই ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি করার এবং বেড়ে ওঠার ক্ষমতা আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের মত মহামারি আগামীতে আরো হবে অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? করোনাভাইরাস: ভাইরাস ছড়ানো বন্যপ্রাণীর সন্ধান চলছে 'সোয়াইন ফ্লু' নিয়ে কি উদ্বেগের কারণ আছে? ভাইরাস ছড়ানোর জন্য যেসব প্রাণীকে সন্দেহ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে প্যাঙ্গোলিন দুহাজার এগার থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেসব তথ্য আছে সেগুলো পর্যালোচনা করে তারা দেখেছেন, চীনে যারা কসাইখানায় কাজ করে এবং শূকর ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংক্রমণের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে যে ফ্লু ভ্যাকসিন আছে, তা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় না বলে দেখা যাচ্ছে। যদিও তারা বলছেন প্রয়োজন হলে এই ভ্যাকসিনকে উপযোগী করে নেয়া সম্ভব। অধ্যাপক কিন-চোও চ্যাং কাজ করেন ব্রিটেনের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন: \"এই মুহূর্তে আমাদের সবার দৃষ্টি করোনাভাইরাসের দিকে এবং সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু নতুন এই ভাইরাসও একটা সম্ভাব্য বিপদজনক ভাইরাস। এটার দিক থেকে দৃষ্টি সরানো আমাদের উচিত হবে না।\" নতুন ভাইরাস এই মুহূর্তে সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ালেও, তার বক্তব্য: \"এটাকে উপেক্ষা করা উচিত হবে না।\" তত্ত্বগতভাবে, একটা ফ্লু মহামারি যে কোন সময় আসতে পারে। কিন্তু তার পরেও এধরনের মহামারি বিরল ঘটনা। মহামারি তখনই ঘটে, যখন নতুন ধরনের একটা জীবাণু আত্মপ্রকাশ করে এবং সহজে ও দ্রুত তা একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লু ভাইরাস যেহেতু অনবরত বদলায়, তাই ফ্লু ভ্যাকসিনও ভাইরাসের সাথে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত বদলানো জরুরি। সেভাবেই সাধারণত একটা ভাইরাসের মহামারি হয়ে ওঠা ঠেকানো সম্ভব। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু চিকিৎসা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেমস উড বলছেন এই গবেষণার কাজ এটাই আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে আমরা সবসময়ই নতুন জীবাণুর জন্ম নেয়ার ঝুঁকির মধ্যে বাস করছি। খামারের পশুর শরীরেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরনের মহামারি হয়ে ওঠার সম্ভাবনাময় ভাইরাস জন্ম নিচ্ছে। আর মানুষকে যেহেতু পশু খামারে কাজ করতে হয়, যেখানে মানুষকে পশুর খুব কাছাকাছি সংস্পর্শের মধ্যে এসে কাজ করতে হয়, তাই এই ভাইরাসগুলো পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ঢোকার আশংকা থেকেই সবসময়ে এধরনের মহামারির একটা বড় ঝুঁকি তৈরি হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: চীনে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য বাদুড় আসলে কতটা দায়ী?", "doc2": "Sabuwar cutar murar tana kamanceceniya da murar aladu wadda ta bazu cikin duniya a shekara ta 2009 Ta bayyana ne a baya-bayan nan, kuma aladu ne ke ɗauke da ita amma mutane suna iya kamuwa a cewar masanan. Masu binciken sun damu da cewa cutar tana iya ƙara rikiɗa ta yadda za ta ci gaba da yaɗuwa daga wannan mutum zuwa wancan, har ma ta haddasa annoba a faɗin duniya. Ko da yake dai, ba matsala ce ta gaggawa ba, amma dai sun ce tana da \"dukkan alamomi\" na zama mai matuƙar sassauyawa don shafar mutane dalilin da ke wajabta buƙatar yin bibiya ta ƙut-da-ƙut. Masanan sun ce sabuwar cuta ce, kuma ba lallai ne garkuwar jikin mutane ta iya kare su daga ƙwayar cutar ta bairas ba. Ƙwararrun sun rubuta a mujallar Proceedings of the National Academy of Sciences cewa kamata ya yi cikin hanzari a ɓullo da matakan taƙaita yaɗuwar ƙwayar cutar a jikin aladu kuma a riƙa matuƙar bibiyar ma'aikatan da ke aiki a masana'antun da ke harkar sarrafa naman aladu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55695865", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54100136", "doc1": "১৭ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির প্রথম লাল কার্ড স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালের অতিরিক্ত সময়েরও একেবারে শেষ মুহূর্তে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় পথ আটকে দেয়ার চেষ্টা করলে মেসি এক ধাক্কায় তাকে ফেলে দেন। প্রথমে রেফারির চোখ এড়িয়ে যায় ঘটনাটি, তিনি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দিয়ে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করে সাথে সাথে মেসিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এই লাল কার্ডের সিদ্ধান্তেরর পর মেসি বা তার সতীর্থদের তেমন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। টিভিতে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে তারা রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। লিওনেল মেসি এই ঘটনার কারণে ঘরোয়া ফুটবলে চার ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন। আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার একদল মেসি ভক্ত যে কারণে জরিমানা গুনলেন বার্সেলোনা ছাড়তে চান লিওনেল মেসি, কোন ক্লাবে যাবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসি ঝড় - আলোচনা, গুঞ্জন আর মজার সব খবর খেলায় যেভাবে উত্তেজনা তৈরি হয় স্পেনের এই কাপ ফাইনালের শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। বার্সেলোনার ফরাসী তারকা আন্তোনি গ্রিজমান দুটি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে রাখেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই বার্সেলোনা ক্লাবটির ইতিহাসের ১৪তম বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে যেত। হতে পারতো এটা বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের প্রথম শিরোপা। হতে পারতো এটা লিওনেল মেসির বার্সার হয়ে সম্ভাব্য বিদায়ী মৌসুমের শিরোপা। কিন্তু বিলবাওয়ের স্প্যানিশ ফুটবলার আজিয়ের ভিয়ালিব্রে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে খেলা টিকিয়ে রাখেন। ২-২ সমতায় অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হলে ৯৩ মিনিটেই ইনাকি উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিক বিলবাও। লিওনেল মেসি এই ঘটনার কারণে ঘরোয়া ফুটবলে চার ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন খেলোয়াড় হিসেবে এটা প্রথম নয় লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে এটা প্রথম লাল কার্ড হলেও আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে দুইবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। মজার তথ্য হচ্ছে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমে এক মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে একটি ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে একটি ম্যাচে লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখেন। ফুটবল দুনিয়ায় কেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে এতো মাতামাতি?", "doc2": "Kaftin ɗin na Barcelona ya yi atisaye tare da tawagar ƙungiyar saɓanin ranar Litinin da gwarzon ɗan wasan na duniya ya yi atisaye shi kaɗai kafin samun sakamakon gwajin korona. Messi ya yi atisaye tare da ƴan wasan Barcelona da suka haɗa da Philippe Coutinho da Sergio Busquets da Frenkie de Jong da Ansu Fati. Messi na shirin tunkarar wata kakar wasa a Barcelona, bayan hana shi barin ƙungiyar da shugabanta ya ce an biya kudin darajarsa yuro miliyan 700 kafin ta bari ya tafi. Bayan sanar da cewa zai ci gaba da taka leda a Barcelona, Messi ya ce yana fatan za a samu sauyi a Barcelona musamman sabon koci da aka ɗauka. Sai dai Messi mai shekara 33 ya ce za su zura ido su ga ko sauyin zai yi wani tasiri a manyan wasanni. Messi wanda ya lashe kyautar gwarzon ɗan wasan kwallon ƙafa na duniya sau shida - ya bayyana damuwarsa game da abokansa biyu Luis Suarez da Arturo Vidal da ake tunanin za su koma taka leda a gasar Seria A a Juventus da Inter Milan. Kashin da Barcelona ta sha ci 8-2 hannun Bayern Munich a gasar zakarun Turai shi ya harzuƙa Messi har ya sanar da yanke ƙauna da ƙungiyar da ya shafe ƙuriciyarsa. Wulaƙancin da Bayern ta yi wa Barcelona ne ya sa ta kori Quique Setien ta ɗauko Koeman Ga yadda Messi ya yi atisaye a Barcelona"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52146901", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51973264", "doc1": "করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত মাসে ইসলামের পবিত্র স্থান কাবা সংলগ্ন এলাকা খালি করে জীবাণুনাশক ছেটানো হয়েছিল। এর আগে শহরগুলোতে ১৫ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছিল এবং মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশই এখন দীর্ঘায়িত করা হলো। এমন সময় এই ঘোষণা এলো যখন জুলাই ও অগাস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজ নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাস: শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর করোনাভাইরাস সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? মক্কা ও মদিনায় কারফিউ জারি করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ মহামারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে হজ করতে ইচ্ছুকদের বুকিং পেছানোর আহ্বান জানায়। হজের সময় সারাবিশ্বের প্রায় বিশ লাখ মুসলিম মক্কা ও মদিনায় জমায়েত হন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সৌদি কর্তৃপক্ষ মানুষজনকে মক্কা ও মদিনা এবং সেইসঙ্গে রাজধানী রিয়াদেও ঢুকতে দিচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে সৌদি আরবে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১,৮৮৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।", "doc2": "Hukumomin lafiyar kasar sun ce an samu karin mutum 36 da suka kamu da coronavirus Sanarwar da hukumomin kasar suka fitar ta ce za a rufe dukkan hanyoyin da ke kai wa ga masallatan biyu. Kazalika hotunan da gwamnati ta wallafa a shafukan sada zumunta ranar Alhamis da Juma'a sun nuna yadda ake rufe kofofin masallatan da kuma wadanda ke nuna su fayau babu kowa. Ranar Alhamis gwamnatin kasar ta bayyana cewa an samu karin mutum 36 da suka kamu da coronavirus. Karshen labarin da aka sa a Twitter, 1 Hukumomin kasar sun ce liman ne kawai za a bari ya yi sallah tare da wasu tsirarun mutane. Sai dai sun ce ba za a yi sallar Juma'a a masallatan ba. Ma'aikatar lafiyar kasar ta ce kawo yanzu mutum 274 suka kamu da cutar jumilla. Da ma dai tuni aka hana masu zuwa Umrah da aikin Hajji shiga kasar, a wani mataki na hana ci gaba da yaduwar coronavirus."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52310694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-51854125", "doc1": "বিশ্বে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মারা যাবার খবর আসছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখুন এই মানচিত্রে: এই ভাইরাস যা মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে, চীন থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ব্যাখ্যা করা হলেও এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। দেশভিত্তিক তথ্য দেখুন নিচের তালিকায়। পূর্ণাঙ্গ তালিকায় রয়েছে প্রত্যেক দেশের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন", "doc2": "Wannan wata kalma ce da hukumar ta guji yin amfani da ita kafin yanzu. Annoba tana bayyana wata cuta ce wadda ke yaduwa a tsakanin mutane a kasashen duniya da dama a lokaci guda. Babban jami'in WHO, Dokta Tedros Adhanom Ghebreyesus ya ce, a yanzu hukumar na amfani ne da wannan kalma, saboda matukar damuwa game da ''gangamin da ake ta yi kan sakakcin da aka yi'' kan cutar. Shin mece ce annoba? An ware wannan kalma ce ga cutar da ke yaduwa, inda za a ga gagaruma da kuma ci gaba da yaduwar cutar tsakanin mutum da mutum a kasashe da yawa. Lokaci na karshe da aka sami aukuwar annoba shi ne shekara ta 2009 lokacin da aka sami barkewar cutar murar aladu, wadda masana ke tsammanin ta kashe dubban mutane. A kan sami annoba ce idan kwayar cutar wata sabuwar nau'i ce, da ke iya kama mutane nan da nan, kuma tana iya yaduwa daga wannan mutum zuwa wancan ta ingantacciyar hanya da dorewa. Ba tare da an sami wata allurar rigakafi da za ta iya magance kamuwa da cutar ba, kula yaduwar ta wani abu ne mai matukar muhimmanci. Me ya sa ake amfani da wannan kalma a yanzu? A karshen watan Fabrairu, Dokta Tedros ya ce, yayin da cutar Coronavirus take da yiwuwar zama annoba, ba ta kai ga hakan ba tukun, saboda ba mu ga yaduwarta yadda ba za a iya kula da ita a kasashen duniya ba. Abin da ya sauya shi ne yawan kasashen suke fama da yawan matsalar cutar. A yanzu akwai mutum 118,000 da suka kamu a kasashe 114. Sauya harshe ba sauya komai ba game da yadda cutar ke gudana, amma WHO tana fata abin zai sauya yadda kasashe ke kula da ita. Dokta Tedros ya ce: ''Wasu kasashe suna fafutukar shawo kan matsalar, amma kuma ba su da kwarin gwiwa. Wasu kasashen kuma suna kokarin ne ba tare da wani kudiri ba''. Ya kuma kara da cewa, WHO ta bukaci kasashe su: *Farfado tare da karfafa hanyoyin kai daukin gaggawa *Rika zantawa da jama'a game da hadurra da yadda za su iya kare kansu *Gano da killace, da gwada, da kuma yin magani ga duk wani wanda ya kamu da cutar ta coronavirus, sannan a bi sawun duk wanda ya cudanya da mutumin da ake zargin ya kamu da cutar ''Ba za mu iya bambanta hakan da kara sosai ba, ko kuma yawaita ambatawar ba - dukkan kasashen duniya suna iya sauya hanyar shawo kan wannan annoba''."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50847680", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50854318", "doc1": "ইমপিচমেন্টের পক্ষে নিউইয়র্কের রাস্তায় আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হলো এই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন: সেনেটে ইমপিচমেন্ট শুনানি কবে হবে? উত্তর: এখন পর্যন্ত কিছুই শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তবে শীতকালীন ছুটির পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনেট সম্ভবত এই বিচারের ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি নেয়া শুরু করবে। সেনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিকদের নেতা চাক শুমার তেমনটাই অনুরোধ করেছেন। রিপাবলিকান সেনেট নেতা মিচ ম্যাককনেলও হয়তো এই প্রস্তাবে সায় দেবেন। প্রশ্ন: ২০২০ সালের নির্বাচনে কী প্রভাব পড়বে? উত্তর: এটি আসলে খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন - এবং এর উত্তরও আসলে পরিস্কার না। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ এ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিতর্ক শুরুর মুহুর্ত রিপাবলিকানরা এমনটা ফলাও করে প্রচার করছে যে ইমপিচমেন্ট কীভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার অর্থায়নের জন্য সুবিধা তৈরি করে দিচ্ছে। কারণ সমর্থকরা তাদের প্রেসিডেন্টের আশেপাশে আগের চেয়ে জোরেসোরে সমর্থন জানাচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা বলছে এই ইমপিচমেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, যার ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সঙ্কোচের মধ্যে পড়বে। জনসমীক্ষার ফলাফল বলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের পক্ষে ও বিপক্ষের মতামত ইমপিচমিন্ট সংক্রান্ত গত কয়েকমাসের নাটকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বলা যায়, ইমপিচমেন্টের বিতর্ক ওঠার আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে যেরকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেরকম, এখনো লড়াই হবে। প্রশ্ন: ট্রাম্প অভিশংসিত হয়ে পেন্স প্রেসিডেন্ট হলে তিনি কী আইনগতভাবে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে পদত্যাগ করতে পারেন? উত্তর: মার্কিন সংবিধানে এই প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কাজেই এটি খুবই সম্ভব। তবে প্রথমত, মাইক পেন্স ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে চাইলে সেই প্রস্তাব নিম্নকক্ষ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসের এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভস স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে দিতে চাইবে না। এমন সম্ভাবনাও আছে যে, ট্রাম্পকে সেনেট তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার সময়ই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যার ফলে ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্বে আসার সুযোগ হারাবেন। কিন্তু সেনেট যদি তা না করে, তাহলে মাইক পেন্স সহজেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে পারবেন। এবং তখন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে বাধা দেয়া সম্ভব হবে না। প্রশ্ন: সেনেট যদি ট্রাম্পকে শেষপর্যন্ত অভিশংসিত নাই করে, তাহলে এই পুরো প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কী? উত্তর: ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সেনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার প্রায় কোনোরকম সম্ভাবনা না থাকলেও তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার উদ্দেশ্য থেকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার দায়ে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা না করলে হয়তো তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতেন যা ডেমোক্র্যাটদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতো। মিনেসোটায় গত অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বিবেচনা করলেও, দলের সমর্থকদের আনুগত্য ধরে রাখতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটদের। প্রশ্ন: নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সাথে সাথেই কী বিচার শুরু হবে, নাকি সেনেটের ভোট দিতে হয়? উত্তর: আজকের ভোটের ফলে মার্কিন সংবিধান অনুসারে সেনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এর মেয়াদ এবং সময় নির্ভর করছে সেনেটের ওপর। সেনেট কোনো এক সময় এই বিচার সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম এবং অন্যান্য মাপকাঠি ঠিক করবে - তবে কোনো না কোনো ধরণের বিচার পরিচালিত হবেই। একটি বিষয়ে কিছুটা অস্পষ্ট আইনি বিতর্ক রয়েছে যে নিম্নকক্ষের ভোটের পরই সেনেটের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, নাকি নিম্নকক্ষের প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইমপিচমেন্টের কাগজপত্র সেনেটে 'পেশ' করতে হয়। এটি এই জন্য জরুরি, কারণ এমন একটা ধারণা রয়েছে যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত হচ্ছেন যে সেনেট নিরপেক্ষ বিচার আয়োজন করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইমপিচমেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারেন। প্রশ্ন: এই ইমপিচমেন্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স দেয়া সাধারণ মানুষের কী পরিমাণ খরচ হচ্ছে? উত্তর: যদি সুনির্দিষ্টভাবে খরচের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে এটি বলা কঠিন। এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের রাশিয়া সম্পর্কে অনধিকার চর্চার অভিযোগের তদন্তে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার খরচ হয়েছিল। তবে এই প্রক্রিয়া না চালিয়ে কী কী করা যেতো, সেটি আসলে রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভোটের পদ্ধতির সংস্কার, সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার আইন পুনর্নবায়নের মত শত শত আইন প্রণয়ন করেছে - কিন্তু এগুলোর মধ্যে খুব কমই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে অনুমোদিত হয়েছে। প্রশ্ন: ইমপিচ হওয়া প্রেসিডেন্টের বিচার পরিচালনা করেন কে? উত্তর: মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকভাবে সেনেটের ইমিপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। বিচারের গঠনতন্ত্র নির্ধারিত হয় বিচার শুরু হওয়ার আগে সেনেটরদের ভোটে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান বিচারপতির দেয়া রায় ১০০ জনের সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ বলা যায়, রিপাবলিকানরা যদি একমত হন তাহলে যে কোনো সময় বিচারের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারবে। প্রশ্ন:সেনেটের কি রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনা করে ভোট দেয়া উচিত নাকি স্বাধীন বিচারক হিসেবে ভোট দেয়া উচিত? উত্তর: প্রত্যেক সেনেটরকে নিজের বিবেকের দ্বারা চালিত হয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোন পক্ষে ভোট দেবেন। এরই মধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকান ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা প্রেসিডেন্টকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যই ভোট দেবেন। আবার অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন যে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব প্রমাণ সাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে পারেন। শুধুমাত্র তারাই জানেন, তারা রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে এরকম সিদ্ধান্তের কথা বলছেন নাকি তারা নিজেদের বিবেক থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।", "doc2": "Masu zanga-zangar a birnin New York masu neman Majalisar Wakilan Amurka ta tsige Shugaba Trump Majalisar ta samu Trump da aikata laifi biyu: Wuce hurumin ofishinsa da kuma kin bai wa majalisar hadin kai yayin gudanar da bincike. Yaushe Majalisar Dattawan kasar za ta binciki zargin da ake wa Trump? Majalisar dattawa ba ta fara komai ba tukuna. Amma ana ganin za ta fara nata binciken bayan 'yan majalisar sun dawo daga hutu a mako na biyun watan Janairu mai kamawa. Abin da Chuck Schumer na jam'iyyar Democrat mara rinjaye a majalisar ya bayyana kenan. Shugaban majalisar Mitch McConnell, daga jam'iyyar Republican ba zai so 'yan Democrat su nemi majalisar ta binciki Trump ba, amma zai iya yarda da wa'adin da bukatar. Sadda Majalisar Wakilan Amurka ta fara zama a ranar tsige Donald Trump Idan Majalisar Dattawa ta tsige Trump, wane tasiri abun da ya yi a wa'adinsa na farko zai yi a neman sake zabensa a 2020? A yanzu ba za a iya fadin abin da zai faru ba. 'Yan Republican na ganin tsigewar za ta taimaka wa yakin neman sake zaben Trump domin magoya bayan shugaban na iya tausaya masa su mara masa baya. Amma 'yan jam'iyyar Democrat na tunanin tsige Trump za ta yi masa mummunan tabon da masu zabe ba za su kawar da kai a kai ba a lokacin zabe. Alkaluma sun nuna cewa ra'ayoyin 'yan Amurka sun bambata game da tsige shugaban. Har yanzu bata sauya zane ba, duba da dambarwar da ake cigaba da yi game tsige shugaban. Idan Mike Pence ya zama shugaban kasar bayan tsige Trump, shin Pence zai iya nada Trump a matsayin mataimaki sannan ya sauka daga mukaminsa. Za ta iya yiwuwa domin kundin tsarin mulkin kasar bai haramta hakan ba. Amma kalubale na farko shi ne dole sai akasarin 'yan duka majalisun dokokin kasar sun amince da nadin da Pence ya yi wa Trump a matsayin mataimakinsa. Da wuya hakan ta samu, duba da yadda Majalisar Wakilai wadda 'yan Democrat ke da rinjaye suka dage cewa sai an tsige Trump. Idan kuma Majalisar Dattawan ta haramta wa Trump sake rike wani mukamin siyasa, to magana ta kare. Amma idan ba ta yi haka ba, babu abin da zai hana Pence yin irin wannan sadaukarwar. Kuma Trump na iya sake neman takara a zaben 2020 har ma ya yi nasara. Idan Majalisar dattawa ba za ta tsige Trump ba to ina fa'idar wannan bata lokaci? Dalilin 'yan Democrat ke yin hakan shi ne suna ganin akwai nauyi a kansu na su tabbatar da cewa Trump ya girbi abin da ya shuka. Duk da cewa sun san da kyar Majalisar Dattawa ta tsige shi. 'Yan Democrat na ganin cewa Trump ya saba ka'ida wajen matsa wa Ukraine lamba ta fara bincike a kan abokin hamayyarsa. Suna ganin idan har ba su taka masa burki ba - ko da ba'a tsige shi ba - to shugaban kasar zai samu kwarin gwiwar cigaba da yin haka, wadda ke iya yi wa jam'iyyarsu illa a zabe mai zuwa. Bayan hakan akwai batun siyasa domin 'yan Democrat sun shafe watanni suna kira da a tsige Trump. Da ba su tsige shi a aikace ba, to da jam'iyyar ta rasa wasu magoya bayanta. Hakan kuma na iya mata babban illa a zaben 2020 domin wasu magoya bayan jam'iyyar za su rasa kwarin gwiwar fita su kada kuri'a a zaben. Shin Trump zai iya sake tsayawa takara idan Majalisar Dattawa ta tsige shi amma ba ta kama shi da laifi ba? Wace illa hakan za ta yi masa? Tabbas zai iya sake tsayawa takara. Tsigewa na iya masa illa a siyasance musamman yiwuwar ya sake cin zabe. Amma doka ba ta haramta masa sake tsayawa takara ba. Kamar yadda aka fada a baya, ko da Majalisar Dattawa ta tsige Trump, zai iya cigaba da da yakin neman zaben da ya riga ya fara, matukar majalisar ba ta haramta masa rike mukamin siyasa ba. Nawa aka kashe a kan wannan batu? Me 'yan Democrat suka yi wa 'yan Amurka a baya? Da wuya a iya fadin yawan kudin da aka kashe. Amma an ware dala miliyan 23 domin binciken da Robert Mueller ya jagoranta kan katsalandan din Rasha a zaben Amurka. Amma binciken batun Ukraine kuma an gudanar da shi ne da kayan aiki da kuma ma'aikatan Majalisar Wakilan. Maganar abin da ya fi muhimmanci kuma, wannan kuma fahimtar siyasa ita ce alkali. Shugabancin Democrat ya yi daruruwan dokoki a Majalisar Wakilai. Kadan daga ciki su ne dokar daukar makamai da dokar karin albashi da dokar kare muhalli da daokar da dokar ba wa matata kariya. Sai dai kuma kadan daga cikin dokokin ne suka samu amincewar Majalisar Dattawa wadda 'yan Republican ke jagoranta. A halin yanzu Majalisar Wakilan ba ta amince da kasafin shekarar 2020 ba, wanda aka fara aiki a kai tun a watan Oktoba. Idan har zuwa tsakar daren ranar Juma'a majalisar ba ta amince da shi ba, to babu makawa sai gwamnatin kasar ta dakatar da ayyukanta a karo na biyu. Dakatar da ayyukan gwamnati ya saba yin mummunan illa ga daidaikun mutane da kuma 'yan siyasa, kamar yadda 'yan kasar suka saba gani. Wa ke jagorantar bincike kan tsige Trump, babban alkalin kasar ko 'yan Majalisar Dattawa? Babban alkalin kasar shi ne doka ta ayyana a matsayin mai jagorantar binciken neman tsige shugaban kasa a zauren Majalisar Dattawa. 'Yan majalisar za su fara kada kuri'a kan fara binciken. Da zarar an fara to shugabancin zaman zai koma karkashin John Roberts har a kammala. Sai dai kuma ko da babban alkalin ya yanke hukunci, 'yan majalisar na iya sokewa idan magoya bayan hakan sun fi rinjaye. Saboda haka idan 'yan Republican suka ga dama za su iya soke hukuncin binciken da babban alkalin kasar ya yanke bayan zaman majalisar. Ina adalci idan har aka tabbtar cewa Trump ya karya doka kasa amma Majalisar Dattawa mai rinjayen 'yan Republican ta ke tsige shi? Wadanda suka tsara kundin mulkin Amurka a 1787 suna sane, amma suka mika ikon tsige shugabanni ga 'yan siyasa. An tsara gwamnatin Amurka ne ta yadda za a samu daidaito tsakanin rassan gwamnati - bangaren zartaswa da majalisa da kuma bangaren sharia - da yiwuar sabani. An yi hakan ne domin kawar da danniya. Don haka tsige shugaban kasa wani makami ne da majalisa ke da shi na kare ikonta da kuma gyara wa bangaren zartaswa zama. Maganar adalcin hakan kuma abu ne ne mahawara. Shin jam'iyya ya kamata 'yan Majalisar Dattawa su bi ko adalci za su bi? Zabin kowane dan majalisa yadda zai kada kuria'. 'Yan Republican irinsu Lindsey Graham, ya ce ya riga ya yanke wa kansa hukuncin kada kuri'ar wanke Trump daga laifin da ake zarginsa. 'Yan Democrat da yawa kuma sun bayyana karara cewa sun gamsu da hujjojin da aka gabatar wa Majalisar Wakilai na tsige Trump. Su kadai suka san ko goyon bayan jami'yya ne ko gamsuwa da hujjoji suka bi wurin daukar matsayi kan tsige shugaban. A karshe dai sai sun gamsar da masu zabe dalilinsu na daukar matakin, matukar za suk kara yin takara. Abin da tsarin adalcin da dokar Amurka ta yi tanadi"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56713767", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56685647", "doc1": "বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনও গত ১৪ই মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে দেশের জ্যেষ্ঠ আলেমদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের পর জানিয়েছে, রোজা রেখে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে কোন সমস্যা নেই। ''আলোচনায় উপস্থিত আলেম সমাজ একমত পোষণ করেছেন যে, যেহেতু করোনাভাইরাসের টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয় এবং তা সরাসরি খাদ্যনালী বা পাকস্থলীতে প্রবেশ করে না, সেহেতু রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে টিকা গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না,'' ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রমজানের সময় দিনের বেলায় মুসলমানরা খাবার ও পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। ইসলামিক শিক্ষায় বলা হয়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শরীরের ভেতরে কিছু প্রবেশ করানো থেকে মুসলমানদের বিরত থাকা উচিত। কিন্তু লিডসের একজন ইমাম, কারী আসিম বলছেন, টিকা যেহেতু পেশীতে দেয়া হয়, রক্তের শিরায় যায় না, এটি পুষ্টিকর কিছু নয়, সুতরাং টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। ''ইসলামী চিন্তাবিদদের বেশিরভাগের দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, রমজানের সময় টিকা নেয়া হলে সেটা রোজা ভঙ্গ হয় না, '' বিবিসিকে বলছেন মি. আসিম, যিনি যুক্তরাজ্যের মসজিদ এবং ইমামদের জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান। মুসলমান কম্যুনিটির জন্য তাঁর বার্তা হলো: ''আপনি যদি টিকা নেয়ার উপযুক্ত হন এবং টিকা নেয়ার আমন্ত্রণ পান, তাহলে আপনার নিজেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনি কি টিকা নেবেন যা এর মধ্যেই কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে, নাকি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেবেন, যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে এবং যার ফলে হয়তো পুরো রমজানই হারাতে পারে, হয়তো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকারও হতে পারে।'' যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য সেবা নটিংহ্যাম এবং ব্রাইটনের মতো অনেক কেন্দ্র তাদের কার্যক্রমের সময় বাড়িয়েছে, যাতে মুসলমানরা তাদের রোজা ভঙ্গের পর সেখানে টিকা নিতে আসতে পারেন। আরও পড়ুন: রমজানে নিরাপদ থাকার জন্য টিকা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর তবে পূর্ব লন্ডনের সার্জারি প্রজেক্টের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ড. ফারজানা হুসেইন বলছেন, দিনের বেলায় টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। ''আমরা জানি, রমজানের সময় কোভিডের টিকা নেয়া নিয়ে অনেক মুসলমানের মধ্যে সংশয় রয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই সময় ইনজেকশন নিলে তাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে,'' তিনি বলছেন, ''কিন্তু এটা একেবারেই তা নয়, কারণ এর মাধ্যমে আসলে শরীরে কোন খাবার প্রবেশ করছে না।'' তিনি বলেন, ''কোরানে বলা আছে, তোমার জীবন রক্ষা করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: 'একটা জীবন বাঁচানো মানে হলো পুরো মানব জগতকে বাঁচানো।' সুতরাং একজন মুসলমান হিসাবে টিকা নেয়া একটা দায়িত্ব।'' যুক্তরাজ্যের মুসলমানদের মধ্যে টিকা নেয়ার হার বৃদ্ধি করার জন্য অনেক মসজিদেও টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইপসোস মোরির একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার জানুয়ারি যা ছিল ৭৭ শতাংশ, মার্চ নাগাদ তা বেড়ে হয়েছে ৯২ শতাংশ। আগামী বুধবার থেকে রমজান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যখন মসজিদে একত্রে নামাজ পড়া, অথবা একত্রে ইফতার করার চল রয়েছে। যুক্তরাজ্যে যদিও সম্প্রদায়গত প্রার্থনায় কোন বাধা নেই, তবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার বিষয়টি সবাইকে মেনে চলতে হবে এবং কোন একটি ঘরে একাধিক বাসার লোকজনের মেলামেশায় নিষেধ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইসলামিক মেডিকেল এসোসিয়েশন রমজানের সময় মসজিদগুলোর জন্য একটা নির্দেশনা জারি করেছে। সেখানে তারা তারাবীহ নামাজ সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ার পরামর্শ দিয়েছে, সেই সঙ্গে যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছে। তারা বলছে, ইমামদের অবশ্যই সঠিকভাবে ডাবল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডার্বির একজন চিকিৎসক এবং এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর বিবিসিকে বলেছেন, ''কোভিড মহামারির কারণে আমাদের কম্যুনিটির ভেতর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখেছি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এবারের রমজানে যেন কোনভাবেই মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।'' ''দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গত বছর আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকের ক্ষতি হয়েছে, এবারও হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি টিকা গ্রহণ করতে থাকি এবং নিজেদের সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি, আমরা এই রমজানে কিছু স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করতে পারবো।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:", "doc2": "Wasu Musulmin na ganin yin allurar rigakafin a lokacin azumi kamar sun karya azuminsu A lokacin azumin Ramadana da za a fara mako mai zuwa, Musulmi na kaurace wa abinci da ababan sha, da sauran abubuwa da aka haramta yi a yayin ibadar da rana. Tuni ma dai wasu cibiyoyin da ake riga kafin a Birtaniya suka kara tsawon lokacin aikinsu, domin ba wa Musulmi damar zuwa a yi musu allurar bayan buda-baki. Malaman addinin Musulunci da ke kan gaba wajen wannan fadakarwa da likitoci don ganin al'umar Musulmi a Birtaniyar sun ci gaba da zuwa ana yi musu rigakafin na korona, na bayar da fatawar cewa, yin allurar ba abu ba ne da zai karya musu azumi ba. Saboda a fadar daya daga cikinsu Sheik Qari Asim, wani limami a Leeds, wanda kuma shi ne shugaban kwamitin kasa na bayar da shawara na kungiyar Masallatai da Limamai a Birtaniya, idan aka yi wa mutum allurar ruwanta zai bi cikin jijiya ne, ba cikin jini ba,. Saboda haka ba abu ba ne da zai kasance kamar abinci ga jikin mutum, kasancewar a bisa dokar Musulunci, mai azumi ba zai ci ko ya sha wani abu na abinci ba a lokacin da kuma aikata wasu abubuwa da aka haramta ga mai azumin, da rana, har sai bayan faduwar rana. Wannan fatawa ita ce yawancin malamai suka tafi a kai kamar yadda Sheik Asim ya sheda wa BBC. Malamin ya ce, sakonsa ga al'ummar Musulmi shi ne, '' idan har ka cancanci a yi maka rigakafin na korona, kuma an aiko maka da gayyatar ka je a yi maka, to sai ka tambayi kanka. ''za ka je a yi maka allurar ne wadda an tabbatar da amfaninta ko kuma za ka bari ne ka fuskanci hadarin kamuwa da cutar, wadda za ta sa ka rashin lafiya sosai, har ma ta iya sa ka kasa yin azumin na Ramadana gaba daya, a karshe ma ka kare a asibiti?'' Kasancewar wasu cibiyoyin allurar riga kafin koronar a Birtaniyar sun kara tsawon lokacin aikinsu ta yadda Musulmi za su iya zuwa bayan sun buda baki a yi musu, wata babbar likita daga yankin gabashin birnin Landan Dakta Farzana Hussain, ta ce ai ba bukatar sai Musulmi masu azumin sun kaurace wa zuwa allurar da rana. Ta ce, sun san cewa Musulmi da dama sun damu a kan yin allurar a lokacin azumin Ramadana, saboda da dama suna ganin yin allurar zai karya musu azumi, ta ce ko alama ba haka abin yake ba, domin allurar ba matsayin abinci take ba. Dakta Shehla Imtiaz-Umer ta bukaci jama'a da su tabbatar sun yi rigakafin Dakta Farzana ta kara da cewa Al Qur'ani mai girma ya ce cetar ranka shi ne abu mafi muhimmanci: ' cetar rayuwar mutum daya tamkar ceton rayuwar al'umma baki daya ne, saboda haka nawi ne da ya rataya a kan kowa ne Musulmi ya yi rigakafin. Domin karfafa wa jama'a yin rigakafin wasu masallatan ma an sa su a matsayin cibiyoyin yin rigakafin na korona a Birtaniyar. Duk da cewa an bayar da damar yin sallar jam'i ko jama'a tare a fadin kasar ta Birtaniya, amma ba za a hada sahu ba, dole ne a yi nesa-nesa da juna, kuma 'yan wani gida ba za su hadu da na wani gidan ba a wuri guda rufaffe su yi salla ba, kasancewar a lokacin azumin ana sallah tare musamman ta asham. A dangane da haka ne ma kungiyar likitoci Musulmi ta Birtaniyar ta fitar da wasu tsare-tsare ga masallatai a lokacin azumin. Daga ciki sun bayar da sahawara da a takaita tsawon sallar Tarawee, a tabbatar an bude tagogi yadda za a samu iska na shiga da fita sosai. Kkuma limamai su tabbatar sun sa takunkumi mai ninki biyu da zai zauna a fuskarsu sosai domin kare lafiyar mamu; wato masu bin sallah. Dakta Shehla Imtiaz-Umer, wata likita a Derby ta sheda wa BBC cewa: \" Mun ga illoli da dama a cikin al'ummarmu saboda annobar korona, saboda haka muke kokarin tabbatar da ganin ba a sake ganin hakan ba a lokacin azumin Ramadana a gaba. Ta ce, '' Abin takaici lamarin ya shafi azumin bara da kuma na bana. Amma idan muka ci gaba da karbar allurar rigakafinmu, kuma mu tabbatar da cewa mun kiyaye da dukkanin matakan kariya, za mu iya tabbatar da cewa al'amura sun komo akalla kusan yadda suke a watan Ramadana na gaba''."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50683917", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50691649", "doc1": "হায়দ্রাবাদে এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তেলেঙ্গানা পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক জিতেন্দ্র বিবিসিকে বলেছেন শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন জেল হেফাজতে থাকার পরে গত বুধবার ওই চারজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে। পরে আজ শুক্রবার অভিযুক্তদের অপরাধ সংগঠন স্থলে, যেখানে ওই পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহভাজনরা এক পুলিশ কর্মকর্তার বন্দুক চুরি করে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের গুলি করা হয় বলে বিবিসি তেলেগুকে জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ২৭ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় - এ ঘটনার তদন্তে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজনদের হত্যার খবর প্রকাশ হওয়ার পরে, ভুক্তভোগীর মা বিবিসিকে বলেছেন যে, \"ন্যায়বিচার হয়েছে\"। এদিকে, এই ঘটনা মানুষ আতশবাজির পুড়িয়ে উদযাপন করছে এবং কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের প্রশংসা করছে। শুক্রবার কী হয়েছে? সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজনার বিবিসি তেলেগুকে বলেছেন, পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনা পুননির্মানের জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তারা পুলিশ সদস্যদের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি করে বলে তিনি জানান। এতে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। হায়দ্রাবাদে ওই পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল - বিশেষত যখন ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ আনে। ধর্ষণ ও হত্যার ওই ঘটনার পরে কয়েক হাজার মানুষ হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে হায়দ্রাবাদ থানার সামনে বিক্ষোভ করে। দেশের অন্যান্য স্থানেও বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকার নারীদের নাম ব্যবহার করা যায়না। হায়দরাবাদের শাদনগরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। ভুক্তভোগীর পরিবার কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? বিবিসি তেলেগুর দীপ্তি বাথিনী ভুক্তভোগীর পরিবারের বাড়িতে যান, যেখানে প্রতিবেশীদের এই ঘটনায় পটকা ফাটিয়ে এবং মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপন করতে দেখা যায়। \"আমি এই অনুভূতি ভাষায় বোঝাতে পারবো না। আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে আবার দুঃখও লাগছে কারণ আমার মেয়ে তো আর ঘরে ফিরবে না,\" ভুক্তভোগীর মা বলেছিলেন। \"আমার মেয়ের আত্মা এখন শান্তিতে আছে। ন্যায়বিচার হয়েছে। আমি কখনই ভাবিনি যে আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তা যেন অন্য কোনও মেয়ের সাথে না হয়।\" নিহত ওই পশু চিকিৎসকের মায়ের দাবি ভারতে যেন যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের আইনটিকে আরও \"কঠোর\" করা হয়। \"পুরুষরা যেন নারীদের দিকে তাকাতেও ভয় পায় - কারণ তাদের শাস্তি পেতে হবে।\" ভুক্তভোগীর বোন জানিয়েছেন, পুলিশের এই ভূমিকা \"খুবই অপ্রত্যাশিত\"। \"আমি আদালতের বিচারের প্রত্যাশা করছিলাম। এই ঘটনা আমার বোনকে ফিরিয়ে দেবে না, তবে এটি অনেক স্বস্তির। পুলিশের এমন পদক্ষেপের কারণে এখন থেকে কেউ আবার এই জাতীয় কিছু করার আগে দু'বার চিন্তা করবে,\" তিনি বলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। ব্যাপক প্রতিক্রিয়া পুলিশের এমন পদক্ষেপের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উদযাপন হয়েছে। অনেকে টুইটার এবং ফেসবুকে পুলিশের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে তারা \"ন্যায়বিচার করেছেন\"। ২০১২ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে গণধর্ষণে যে মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিলেন, তার মাও অভিযুক্তদের এই হত্যার ঘটনার প্রশংসা করেন। তিনি এএনআই সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, \"এই শাস্তির খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। পুলিশ অনেক ভাল কাজ করেছে।\" হত্যার ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির তেলুগু সংবাদদাতা সতীশ বল্লা বলেছেন, সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে, যার ফলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলি মহাসড়কে স্থবির হয়ে আছে। সেখান থেকে মানুষ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এর আগে সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর গোলাপের পাপড়ি ছেটায় এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। প্রাক্তন বলিউড তারকা জয়া বচ্চন, যিনি এখন ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের এমপি, এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের \"পিটিয়ে হত্যা\" করা উচিত। \"আমি জানি এটি শুনতে কঠোর মনে হচ্ছে, তবে এই ধরণের মানুষদের জনসমক্ষে প্রকাশ‍্যে পিটিয়ে হত্যা করা উচিত,\" পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। কংগ্রেস, বিজেপিসহ নানা দলের নেতা নেত্রী এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদরাও এই নির্মম গণধর্ষণ ও হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল টুইট করে 'সালাম' জানিয়েছেন হায়দ্রাবাদ পুলিশকে। শনিবার দিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তবে কয়েকজন, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশের সংস্কারের মূল স্থপতি প্রকাশ সিং বিবিসিকে বলেছন যে এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যেতো। তিনি বলেন, \"হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের যখন আদালতে বা অপরাধের জায়গায় নেওয়া হয়, তখন প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।\" \"তাদেরকে বের করার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হাতকড়া পরাতে হবে এবং সঠিকভাবে তল্লাশি চালাতে হবে। কারণ পুলিশ যদি সতর্ক না হয় তাহলে যেকোন সময় যেকোন ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে।\" তবে মিঃ সিং বলেছেন, ঘটনাটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিনা, সেটা এতো তাড়াতাড়ি বলা যাবেনা- ভারতে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড \"এনকাউন্টার কিলিং\" নামে পরিচিত। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী এভাবে পুলিশ এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের মেরে ফেলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলছেন, \"আমি এই বন্দুক যুদ্ধের বিরোধিতা করি। এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। আইন কেউই নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। বিচার হলে নিঃসন্দেহে এদের ফাঁসির সাজা হত। বিচারের আগেই যদি গুলি করে অভিযুক্তকে মেরে দেওয়া হয়, তাহলে আদালত, পুলিশ বা বিচার ব্যবস্থার দরকার কি?\" প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তার কথায়, \"মানুষ এই এনকাউন্টারের কারণে উৎসব পালন করছেন, কিন্তু এটা আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে একটা গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিল। গোটা দেশের ভাবা দরকার যে ফৌজদারি বিচার বিভাগ আর তদন্ত বিভাগকে কি করে শক্তিশালী করা যায়।\" ভারতের সংসদেও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে এখন। মানবাধিকার কর্মীরা প্রশ্ন তুলছেন পুলিশই যদি বিচার করে ফেলে, তাহলে আর আইন আদালতের প্রয়োজনটা কী! পুলিশ বলছে নিহতদের দেহের ময়না তদন্ত যেমন করা হচ্ছে, তেমনই গোটা বন্দুক যুদ্ধের তদন্তও করা হবে। ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেও দৃশ্যট পরিবর্তন হয়নি। কীভাবে পশুচিকিৎসকের হত্যার ঘটনা উদঘাটন হয়েছিল? দশ দিন আগে ভুক্তভোগী ওই নারী একজন ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টে যাওয়ার জন্য স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন। পরে পরিবারকে ফোন দিয়ে তিনি জানান যে তার মোটরসাইকেলের টায়ারের হাওয়া বেরিয়ে গেছে। এবং একজন ট্রাক চালক তাকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, তিনি একটি টোল প্লাজার কাছে অপেক্ষা করছিলেন। এর পরে পরিবারের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লাইওভারের নিচে ওই নারীর মরদেহ খুঁজে পান এক দুধ বিক্রেতা। গত সপ্তাহে, তিন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ তারা নিখোঁজের খবর পুলিশকে দেয়ার পরও তারা কোন তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ নেননি। সরকারী সংস্থা জাতীয় মহিলা কমিশনকে স্বজনরা জানান যে, ওই কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদেরকে বলেছেন যে, তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। আরও পড়তে পারেন: ধর্ষণকারীকে 'পিটিয়ে হত্যার' দাবি ভারতীয় এমপির ধর্ষণকারীকে 'পিটিয়ে হত্যার' দাবি ভারতীয় এমপির ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নারীরা কি ভারতে নিরাপদ? ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর থেকে দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিষয়টি কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৭ সালে ভারতে ধর্ষণের ৩৩ হাজার ৬৫৮টি মামলা পুলিশ রেজিস্ট্রি করেছে, এর অর্থ ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।", "doc2": "Dubban mutane ne suka yi zanga-zanga a wajen ofishin 'yan sanda da ke Hyderabad a lokacin da aka yi wa matar fyade Tun da fari ana tsare da mazan hudu a ofishin 'yan sanda. Daga nan ne kuma aka wuce da su kotu, sannan a safiyar Juma'a aka sake mayar da su ofishin. An harbi wadanda ake zargi da aikata fyaden a lokacin da suka kwace bindigogin jami'an tsaron, kamar yadda 'yan sandan yankin Telugu suka shaida wa BBC. Sai dai kungiyoyin kare hakkin dan Adam ciki har da Amnesty International, sun yi kiran a gudanar da bincike kan abin da suka kira kisa ba bisa ka'ida ba da aka yi wa mazan. Babban daraktan Amnesty a Indiya Avinash Kumar ya ce wannan kisan da aka yi masu ba shi zai kawo karshe ko kare afkuwar fyade a kasar ba. Jim kadan bayan yaduwar labaran mutuwar mutanen, mahaifiyar matashiyar ta ce ''an yi wa 'yar ta adalci,'' yayin da makobtansu suka fara murna ta hanyar harba tartsatsin wuta sama, dubban mutane kuma suka cika tituna tare da jinjinawa 'yan sanda. Wanne dalili 'yan sanda suka bayar kan harbin mutanen? 'Yan sanda 10 dauke da bindigogi ne suka fita da mazan hudu, wadanda ba a sanya masu ankwa a hannu ba. Sun kai su wurin da aka aikata laifin a Cyberabad domin sake duba wurin kamar yadda mataimakin kwamishinan 'yan sanda VC Sajjanar ya shaida wa BBC. Wurin da aka aikata fyaden, akwai manyan kamfanonin fasaha kamar Microsoft da Google. Kwamishinan 'yan sandan ya ce: '''Yan sandan suna neman wayar salula, da abin cajin waya da agogon wadda aka yi wa fyaden, wadanda kuma aka nema aka rasa.'' An tambayi kwamishinan dalilin da ya sa aka kashe mutanen. Ya kada baki ya ce: ''Mazan hudu sun fara jifan 'yan sandan da duwatsu da sanduna, tare da kwace bindigar biyu daga cikin 'yan sandan tare da harbe-harbe. ''Duk da cewa 'yan sandan sun bukaci masu laifin su ajiye bindigogin, sai suka ki yadda kuma suka ci gaba da harbi. \"Sun dauki minti 15 ana abu daya, babu yadda za mu yi dole muka mayar da martani, a nan aka kashe mutane hudun,'' inji kwamishina Avinash. Biyu daga cikin jami'an tsaron sun ji rauni a kai, amma ba harbin bindiga ba ne, kuma tuni aka garzaya da su asibiti."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51887360", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52372362", "doc1": "সাম্প্রতিক দিনগুলিতে স্পেনের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে ইতালির পরে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার জনের বেশি। স্পেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা জন্য দেশটির সরকার একটি বৈঠক শুরু করার আগেই এই খবর এলো। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) জানিয়েছে যে ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা যেন জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। যেমন, সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি আনা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন স্পেনের পরিস্থিতি কী? শনিবারের মধ্যে স্পেনে ১৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার সাতশো তিপ্পান্ন জনে। শুক্রবার রাতেও এই সংখ্যা ছিল ৪,২৩১ জন। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ শিগগিরই সংকট মোকাবেলায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রের উত্তরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি হতে যাচ্ছে। প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ২০১০ সালে, যখন বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারীরা ধর্মঘট করেছিল। স্থানীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। মাদ্রিদ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ পানশালা, রেস্তোঁরা ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুধুমাত্র খাবারের দোকান, ফার্মেসি এবং পেট্রোল স্টেশনগুলো খোলা রাখতে দেয়া হয়েছে। গ্যালিসিয়া এবং কাতালোনিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেভিল শহরের মেয়র জানিয়েছেন, যে তিনি দক্ষিণের বিখ্যাত ইস্টার মিছিলের আয়োজন স্থগিত করেছেন। কাতালান আঞ্চলিক নেতা কুইম টোরা বলেছেন যে তিনি পুরো অঞ্চলটি ঘেরাও করে ফেলতে চান, এবং তিনি মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষকে বিমান, রেল ও সমুদ্রপথে প্রবেশ বন্ধ করতে বলেছেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সও স্পেনের ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। শনিবার জেট-টু নামের এয়ারলাইন্স সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিলে, আকাশের মাঝপথে থাকা অবস্থায় বিমান ফিরিয়ে আনা হয়।", "doc2": "An samu karuwar cutar a 'yan kwanakin da suka gabata ne sakamakon karuwar gwaji da ake yi Kamfanin dillacin labaran SPA ya ce an samu karuwar cutar a 'yan kwanakin da suka gabata sakamakon karuwar gwaji da ake yi, kamar yadda kakakin ma'aikatar lafiya na kasar ya bayyana a wani taron manema labarai. Kawo yanzu mutum 109 aka tabbatar da cutar korona ta kashe a Saudiyya. Mutum 1,640 suka warke zuwa yanzu. A Makkah cutar ta fi yaduwa inda mutum 305 suka kamu, sai Madinah inda 299 suka kamu sai kuma 171 a Jeddah, 148 a Riyadh. Ministan lafiya na Saudiyya Dr. Tawfiq Al-Rabiah ya yi gargadin cewa yawan masu cutar za su kai sama da 200,000 cikin makwanni. Tuni hukumomin Saudiyya suka hana shiga Makkah da Madina, da ma Riyadh babban birnin kasar, a kokarin da hukumomin kasar ke yi na hana yaduwar Covid-19. Ana fargaba kan yiyuwar gudanar da aikin hajji a bana, yayin da cutar korona ke ci gaba da yaduwa. Karin matakan da Saudiyya ta dauka lokacin Azumi Kwanaki suka rage al'ummar Musulmi su fara Azumin Ramadan, a cikin wannan yanayi da aka killace kusan al'ummar duniya saboda annobar cutar korona inda sama da mutum miliyan biyu suka kamu da cutar a duniya. Kuma Saudiyya ta kara daukar matakai kamar haka:"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50820202", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50820463", "doc1": "২০০৮ সালের মাঝামাঝি ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন মি: মুশাররফ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয় তিন জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাটি ২০১৩ সাল থেকে ঝুলে ছিলো। মিস্টার মুশাররফ সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১৬ সালে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবার অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে তিনি দুবাইতে অবস্থান করছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জেনারেল মুশাররফ কি রাজনীতিতে আসছেন? একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? জেনারেল মোশাররফের ফোনে আড়ি পেতেছিল ভারত জেনারেল পারভেজ মুশাররফ জেনারেল মুশাররফ ২০০৭ সালে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারী করেন, উদ্দেশ্য তার শাসনামল প্রলম্বিত করা। আর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এই নিয়েই। এ মাসের গোড়ার দিকে হাসপাতালের বিছানায় শোয়া অবস্থায় একটি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করেন জেনারেল মুশাররফ, যেখানে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ 'ভিত্তিহীন'। তিনি পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক যাকে সংবিধান স্থগিত করবার জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হলো। মামলার বিস্তারিত: ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে জেনারেল মুশাররফ সংবিধান স্থগিত করে জরুরি আইন জারি করেন। এই ঘটনায় পাকিস্তানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ইমপিচমেন্ট এড়াতে ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন জেনারেল মুশাররফ। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নওয়াজ শরীফ, যাকে ১৯৯৯ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিলেন জেনারেল মুশাররফ। পুনরায় ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে জেনারেল মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চালু করেন মি. শরিফ। জেনারেল মুশাররফ যুক্তি দেন, মামলাটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ২০০৭ সালে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা সরকার এবং মন্ত্রীসভা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু তার এই যুক্তি নাকচ করে দেয় আদালত। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, উচ্চমাত্রার রাষ্ট্রদ্রোহে (হাই ট্রিজন) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়। ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ে বাস করছেন জেনারেল মুশাররফ এবং বারবার তলব করা স্বত্বেও তিনি আদালতে হাজির হননি। জেনারেল মুশাররফের ক্যারিয়ার: ১৯৯৮ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের মে মাসের কারগিল যুদ্ধে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকা নিয়ে তখনকার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাথে সম্পর্কে ফাটল ধরে জেনারেল মুশাররফের। এর ধারাবাহিকতায় ওই বছরই এক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় আরোহণ করেন জেনারেল মুশাররফ। ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি এবং এই সময়ের মধ্যে বহুবার আততায়ীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন জেনারেল মুশাররফ। 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে' সমর্থন ও ভূমিকা পালনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ছিলেন জেনারেল মুশাররফ। তাকে উৎখাতের বহু প্লটও ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে' সমর্থন ও ভূমিকা পালনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। যদিও একারণে স্বদেশে ব্যাপক বিরোধিতার শিকার হতে হয় তাকে। রাষ্ট্রপতির পদ ত্যাগ করার পর ২০০৮ সালে দেশ ছাড়েন তিনি, কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবার জন্য আবারো ফিরে আসেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যর্থ হন। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার শুনানিতে মাত্র দুবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে তার সময় কেটেছে হয় সেনাবাহিনীর একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নয়তো ইসলামাবাদের একটি খামারে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের এপ্রিলে তিনি করাচিতে চলে আসেন। সেখানে দুবছর থাকার পর তিনি আবার দেশত্যাগ করেন। আরো খবর: মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে গঠিত হয়েছিল রাজাকার বাহিনী মুজিব পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বাঁচান যে ভারতীয় সেনা কক্সবাজারে অস্ট্রেলিয়ান তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা ধর্ষণ মোকাবেলায় ভারতের বিচার ব্যবস্থা কতটা কার্যকর", "doc2": "Pervez Musharraf Wata kotu ta musamman a kasar ce ta yanke wa Musharraf hukuncin saboda samun sa da laifin cin amanar kasar. Musharraf shi ne tsohon shugaban mulkin soja na farko da aka kama da aikata manyan laifuka a kasar. Laifukan tsohon shugaban sun hada da jingine tsarin mulkin kasar da kuma sanya dokar ta-baci a kasar a shekarar 2007. Musharraf ya yi murabus a shekarar 2008 A 1999, Musharraf ya yi juyin mulki a Pakistan inda ya ci gaba shugaban kasar daga 2001 zuwa 2008 lokacin da ya yi murabus daga mukamin. A watan jiya ne alkalai uku na kotun suka yanke hukuncin, amma babbar kotun kasar ta hana su bayyana hukuncin. Tun a shekarar 2016 Janar Musharraf ke zaune a birnin Dubai da ke Hadaddiyar Daular Larabawa inda yake jinya don haka an yanke wannan hukuncin ne a yayin da yake wajen kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49995694", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49993805", "doc1": "ডা. শাকিল আফ্রিদি এই প্রথমবারের মত ডা. শাকিল আফ্রিদির মামলার আদালতে শুনানি হলো। কৌসুঁলিদের অনুরোধে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত মামলা মুলতুবি করা হয়। ড. আফ্রিদির ভূমিকায় পাকিস্তান খুবই বিব্রত হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে তার নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। ২০১১ সালে পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। ড. আফ্রিদিকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় পাকিস্তানে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ডলার - পেশোয়ার হাই কোর্টের দেয়া কারাদণ্ড অনুযায়ী ড. আফ্রিদির প্রতি বছর কারাভোগের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার করে - পরিমাণ অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচিত হলে 'দুই মিনিটে' ডা. আফ্রিদিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রে ডা. আফ্রিদিকে বীর মনে করা হলেও পাকিস্তানে অনেকেই তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন। তার কারণে বাধা ছাড়াই মার্কিন নেভি সিলরা পাকিস্তানের ভেতর প্রবেশ করে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করে তার মৃতদেহ নিয়ে পাকিস্তানের বাইরে চলে যেতে সক্ষম হয়। আর তারপরই কিছুটা অস্বস্তিকর একটি প্রশ্নে উঠে আসে - পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের বিষয়টি আগে থেকে জানতো কি না। কে এই শাকিল আফ্রিদি ডা. আফ্রিদি খাইবারের উপজাতি অঞ্চলের শীর্ষ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত বেশকিছু টিকাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধান করেছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে অ্যাবোটাবাদ শহরে একটি হেপাটাইটিস বি কর্মসূচী পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই অ্যাবোটাবাদেই অনেকটা সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় ওসামা বিন লাদেন বসবাস করছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের পরিকল্পনা ছিল অ্যাবোটাবাদের ঐ বাসার কোনো একজন শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই করা যে ঐ শিশুদের কেউ ওসামা বিন লাদেনের আত্মীয় কিনা। ধারণা করা হয়, ডা. আফ্রিদির একজন কর্মী সেই বাসায় গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ঐ নমুনা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানে কতটা সহায়ক ছিল তা জানা যায় না। ওসামা বিন লাদেন মারা যাওয়ার ২০ দিন পর ২০১১ সালের ২৩শে মে ডা. আফ্রিদিকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। সেসময় তার বয়স চল্লিশের কোঠায়। ২০১২ সালে অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। ১৯৯০ সালে তিনি খাইবার মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক করেছেন এবং তিনি খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাকে গ্রেফতার করার পর থেকে জঙ্গি হামলা হওয়ার আশঙ্কায় তার পরিবার আত্মগোপনে রয়েছে। আত্মগোপনে যাওয়ার আগে তার স্ত্রী অ্যাবোটাবাদের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে - ২টি ছেলে এবং একটি মেয়ে, যাদের অন্তত ২ জন বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেন যে ডা. আফ্রিদি তাদের হয়ে কাজ করেছেন। পাকিস্তানের এক তদন্ত অনুযায়ী, সিআইএ যখন তাকে নিয়োগ দেয় তখন তিনি জানতেন না যে তাদের অভিযানের লক্ষ্য কী। কোন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে? প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হলেও, ২০১২ সালের মে মাসে যখন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলামকে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি আদালত তাকে শুরুতে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিলেও পরে আবেদন সাপেক্ষে তা কমিয়ে ২৩ বছর করা হয়। ২০১২ সালে জেল থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেন যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনী তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করেছে। একবছর পর তার আইনজীবীদের কাছে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠাতে সক্ষম হন তিনি - যেখানে তিনি দাবি করেন যে তিনি বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনা হলো না? এই বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, বিন লাদেনের বিষয়টি পাকিস্তানের জন্য বড় একটি ঘটনা ছিল। কর্তৃপক্ষ মার্কিন অভিযানের বিষয়টিকে সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে দেখে এবং যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেসময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বাধ্য হয়ে স্বীকার করতেই হয় যে ওসামা বিন লাদেন যে বেশ কয়েকবছর ধরে ঐ এলাকার একটি তিন তলা বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, সে সম্পর্কে তাদরে কোনো ধারণা ছিল না। ২০১১ সালের মে মাসে বিন লাদেনের বাড়ি থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিচ্ছে সৈন্যরা তৎকালীন হোয়াইট হাউজ সন্ত্রাস দমন বিভাগের প্রধান জন ব্রেনান মন্তব্য করেছিলেন যে বিন লাদেন পাকিস্তানে কোনো 'সহায়তা ছাড়াই বসবাস করছিলেন, তা ধারণাতীত', তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাই ডা. আফ্রিদিকে মার্কিন অভিযানে তার নেয়া ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত করা আরো নেতিবাচক প্রচার হবে বলে ধারণা করা হয়। কেন এখন তার মামলা আদালতে গড়ালো? এখন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলের সীমান্ত অপরাধ বিধি অনুসারে, যেটি আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীনে থাকা আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলোতে গত বছর পর্যন্ত বলবত ছিল। সেসব এলাকার উপজাতিদের পরিচালিত আদালত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে, স্থানীয় উপজাতিদের কাউন্সিলের সহায়তায় পরিচালিত হতো এবং তারা যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে বাধ্য ছিল না। কিন্তু গত বছর খাইবার পাখতুনওয়ালার সাথে উপজাতি এলাকাগুলো একত্রিত হয়ে গেলে উপজাতিদের আদালতের মামলাগুলোও পাকিস্তানের আদালতের অধীনে আসে। পরবর্তী শুনানিতে ডা. আফ্রিদির কারাদণ্ডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হতে পারে অথবা বাড়তেও পারে। গত বছরে পেশোয়ারের একটি কারাগার থেকে পাঞ্জাবের একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। তারপর থেকেই এমন আলোচনা তৈরি হয়েছে যে তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে। জল্পনা রয়েছে অভিযুক্ত আল কায়েদা সদস্য আফিয়া সিদ্দিকি, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করছেন, তার সাথে বন্দী বিনিময় করা হতে পারে ডা. আফ্রিদিকে। ।", "doc2": "Dakta Afridi ya musanta dukkanin zargin da ake yi masa yana mai cewa ba a ba shi damar kare kansa ba Wannan ne karon farko da aka yi sharia'ar Shakil Afridi a bainar jama'a. Alkalin ya dage sauraron karar zuwa 22 ga watan Oktoba bisa bukatar masu shigar da kara. Rawar da Dakta Afridi ya taka a lamarin abin kunya ne babba ga Pakistan. Ya yi korafin cewa ba a ba shi damar kare kansa yadda ya kamata ba. Ba a taba gabatar masa da tuhuma ba a hukumance game da rawar da ya taka wajen kashe mutumin da aka fi nema a duniya a shekarar 2011. Tuhumar da Pakistan ta yi masa ta fusata Amurka har ma ta rage fan miliyan 27 na tallafin da ta saba ba ta - dala miliyan daya kenan kan kwace daya ta hukuncin a babbar kotun Peshawar. Donald Trump ya yi alkawari ayayin yakin neman zabensa cewa zai fitar da Dakta Afridi \"cikin minti biyu\" idan aka zabe shi - abin da har yanzu bai faru ba. Yayin da Amurkawa ke yi masa kallon wani gwarzo, a Pakistan kuwa mutane na kallonsa a matsayin maci amanar kasa. Wata tawagar sojojin Amurka ta ruwa ta musamman ce ta kai samamen kashe Bin Laden tare da ficewa da gawarsa ba tare da martani ba. Bin Laden ya sha tsallake rijiya da baya tun bayan kai harin 11 ga Satumban 2001 a Amurka Hakan ya jawo wasu tambayoyi game da aikace-aikacen rundunar sojan Pakistan, wadda ke aikinta babu katsalandan, ko tana sane da zaman Bin Laden a cikin kasarta. Har ya zuwa yanzu Pakistan ba ta bayar da hadin kai sosai ga yakin da Amurka ke yi da 'yan gwagwarmayar Musulunci. Wane ne Shakil Afridi? Dakta Afridi babban likta ne a yankin Khyber kuma saboda matsayinsa ya sa ya jagoranci gudanar da aikace-aikacen alluran rigakafin da Amurka ta samar a yankin. A matsayinsa na ma'aikacin gwamnati, ya kirkiri shirin allurar rigakafin cutar shawara ta hepatitis B har a garin Abbottabad, inda a nan ne Osama Bin Laden yake boye. Shirin da hukumar tattara bayanan sirrin Amurka ta yi shi ne ta shiga gida da Bin Laden yake domin karbar jinin daya daga cikin mazaunan gidan da zummar tantance kwayar halittarsa domin gano ko 'yan uwan Bin Laden ne. Ana tunanin cewa daya daga cikin ma'aikatan Dakta Afridi ya shiga gidan kuma ya karbi jinin - sai dai babu tabbas ko wannan ne sirrin nasarar sojojin. An kama Dakta Afridi ne ranar 23 ga watan mayun 2011 kwana 20 bayan kashe Bin Laden. Ana ganin yana dan shekara 40 da wani abu a lokacin. Gidan Bin Laden kenan a 2012 kafin a mayar da shi kasa Ba a san wasu abiubuwa game da shi ba sama da cewa ya fito ne daga cikin iyali mai karamci sannan kuma ya kammala kwalejin aikin likita ta Khyber Medical College a 1990. Iyalansa suna zama ne a boye tun bayan kama shi saboda tsoron hari daga 'yan gwagwarmaya. Wane laifi aka kama shi da shi? Bbayan an zargew shi cin amaanar kasa, an garkame shi a watan Mayun 2012 saboda samunsa da laifin tallafa wa kungiyar Lashkar-e-Islam wadda aka haramta. An yanke masa hukuncin shekaraa 33 a gidan yari saboda zargin yana da alaka da kungiyar daga wata kotu kafin daga bisani aka rage zuwa shekara 23. Kazalika, an zarge shi da taimaka wa mayakanta da aikinsa na liktanci da kuma ba su damar yin taruka a asibitin gwamnatin da yake shugabanta. Iyalansa sun sha musanta zargin sannan lauyoyinsa ma sun ce kudin da ya taba biya shi ne na ruppe miliyan daya domin kubutar da kansa bayan an yi garkuwa da su a shekarar 2008. Amma me ya sa ba a tuhume shi da taimaka wa Amurka ba? Wannan abu ne da babu tabbas a kai, amma tabbas lamarin abin kunya ne ga Pakistan. Duk da cewa ta fusata da cewa aikin Amurkar yin katsalandan ne ga 'yancinta, hukumomin tattara bayanan sirri sun ce ba su san da zamansa a kasarsu ba. Sojoji suna kawar da baraguzan ginin gidan Bin Laden bayan harin Amurka a Mayun 2011 Me yasa sai a kotu kawai ake jin labarin shari'ar tasa? Zuwa yanzu dai sharia'rsa ta gudana ne a karkashin dokar Frontier Crimes Regulations tun ta lokacin Turawan Birtaniya wadda ake amfani da ita a yanki mai kwarya-kwaryar cin gashin kansa - kafin shekarar da ta gabata. Su dai kotun al'adu shugabnnin al'umma ne suke jagorantarsu wadanda babu mai tilasta masu bin doka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55255502", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55256753", "doc1": "ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোর প্রচেষ্টার পর আসা খসড়া এই আইনটিতে হোম-স্কুলিংয়ের নিয়ম কানুন এবং হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য রুখতে কঠোরতা আরোপ করবে। ফ্রান্সে এবং এর বাইরে অনেক সমালোচক তার সরকারকে দুষছেন যে ধর্মকে টার্গেট করতেই এই আইন ব্যবহার করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসতেক্স এটিকে \"সুরক্ষা আইন\" বলে অভিহিত করেছেন যা মুসলিমদেরকে উগ্রতার হাত থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি \"ধর্মের বিরুদ্ধে বা বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মের বিরুদ্ধে\" ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি। আইনে কী আছে? \"প্রজাতন্ত্রের মূলনীতির সমর্থনে\" এই আইনটি অনলাইনে হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য ঠেকাতে বিধি-নিষেধ আরোপ করবে এবং খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার জন্য অন্য মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে। গত অক্টোবরে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে শিরোচ্ছেদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আইনকে দেখা হচ্ছে। ইসলামের নবীর কার্টুন শিক্ষার্থীদের দেখানোর কারণে এক হামলাকারীর হাতে নিহত হয়েছিলেন ৪৭ বছর বয়সী প্যাটি। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে তার বিরুদ্ধে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন বা প্রচারণা চলছিল। এই আইনের অধীনে গোপনে চলা যেসব স্কুল ইসলামি আদর্শ প্রচার করে সেগুলোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং হোম-স্কুলিং বা বাড়িতে শিক্ষার বিষয়টি উপর কড়াকড়ি আরোপ হবে। আইনটি বহুবিবাহের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেবে। এর আওতায় একাধিক স্ত্রী রয়েছে এমন আবেদনকারীকে ফ্রান্সে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে না। যেসব চিকিৎসক মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করবেন তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানা হতে পারে। মুসলিম সংস্থাগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে নতুন নিয়ম আসবে এবং তহবিল পেতে হলে তাদেরকে ফ্রান্সের \"প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে\" সমর্থন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরিধানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটির আওতা বাড়ানো হবে। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে যানবাহন কর্মী, সুইমিং পুল এবং মার্কেটে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আইনটি কেন প্রয়োজন হল? খসড়া আইনটি এতোদিন বিবেচনাধীন ছিল। কিন্তু কথিত ইসলামপন্থীদের সাম্প্রতিক হামলা এটিকে আবারো এটিকে এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হওয়ার পেছনে কাজ করেছে। ফ্রান্সে যে তিনটি হামলা অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে প্যাটির হত্যাকাণ্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। অক্টোবরে নিসে একটি চার্চে ছুরি হামলায় তিন জন নিহত হয়। প্যারিসে শার্লি এবদো ম্যাগাজিনের দপ্তরের কাছে সেপ্টেম্বরে ছুরি হামলায় দুই জন গুরুতরভাবে আহত হয়। ২০১৫ সালে এই ম্যাগাজিনের কার্যালয়েই একটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল জঙ্গীরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেক্যুলারিজমসহ ফরাসি \"প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে\"র একজন কট্টর সমর্থক প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি ইসলামকে \"সংকটে থাকা\" ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং শার্লি এবদোর ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের অধিকারের প্রতি সমর্থন করেন তিনি। ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম জনগণের বসবাস, যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। প্রতিক্রিয়া কী এসেছে? বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মি. ম্যাক্রোঁ। তুরস্কের সাথে সম্পর্কে এরইমধ্যে চির ধরেছে এবং প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই প্রস্তাবনাকে \"খোলা উস্কানি\" এবং মি. ম্যাক্রোঁকে \"মানসিকভাবে অসুস্থ\" বলে মন্তব্য করার পর তা আরো খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং লেবাননে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কুটনীতিক স্যাম ব্রাউনব্যাকও এর সমালোচনা করে বলেছেন: \"যখন আপনি কঠোরহস্ত হবেন তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।\" খোদ ফ্রান্সেও কিছু বামপন্থী রাজনীতিবিদরা এই প্রস্তাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন যে এই প্রস্তাবনা মুসলিমদের জন্য অসম্মানজনক হতে পারে। লা ম্যঁদে সংবাদপত্র বলেছে, অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায় যারা হোম-স্কুলিং করে থাকে তারাও এই আইনের বিরোধিতা করতে পারে। কিন্তু প্যারিসে থাকা বিবিসির প্রতিবেদক লুসি উইলিয়ামসন বলেছেন, এ ধরণের পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর উপর চাপও ছিল। তিনি বলেন, ফ্রেঞ্চ সেক্যুলারিজমের নামে ইসলামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয় হলেও রাষ্ট্রের জন্য নাজুক অবস্থা তৈরি করতে পারে।", "doc2": "Daftarin dokar, wani ɓangare ne na ƙoƙarin da Shugaba Emmanuel Macron ke yi na dogon lokaci, domin ganin an tabbatar da ƙasar a matsayin ƴar ba-ruwana da kowanne addini, ta hanyar tsaurara dokoki kan makarantun gida da kalaman nuna ƙiyayya. Wasu masu suka a Faransa da ƙasashen waje, sun zargi gwamnatinsa da amfani da dokar domin auka wa addini. Sai dai Firaiministan Faransa Jean Castex ya kira ta \"dokar kariya\" wacce za ta ƴantar da Musulmai daga ƙangin masu tsattsauran ra'ayi. Ya dage kan cewa ba wai an samar da dokar ne domin ta shafi wani addini ba musamman musulunci. Me dokar ke cewa ? Ƙudirin dokar \"mai goyan bayan ka'idojin Jamhuriyya\" zai tsaurara matakan taƙaita kalaman nuna ƙiyayya ta hanyar intanet da kuma hana amfani da intanet domin bayyana bayanan sirri game da wasu mutane. Ana ganin wannan a matsayin martani ga fille kan malami Samuel Paty a watan Oktoba. Wani mai tsattsauran ra'ayi ne ya kashe Paty, mai shekaru 47, bayan ya nuna wa ɗalibansa zanen barkwanci na Annabi Muhammad (SAW). Dokar ta kuma haramta makarantun \"sirri\" waɗanda ke yaɗa aƙidar Islama tare da tsaurara dokoki kan karatun gida. Haka nan za ta ƙarfafa dokar hana auren mata fiye da ɗaya ta hanyar ƙin bayar da izinin zama ga masu neman auren mata da yawa. Za a iya cin tara ko haramta wa likitoci yin gwajin budurci ga 'yan mata. Akwai sabbin ƙa'idoji game da mu'amala da kuɗi ga ƙungiyoyin musulmai da kuma buƙatar su sanya hannu kan ƙa'idojin Jamhuriyyar Faransa domin samun kuɗaɗe. An tsawaita dokar hana jami'ai sanya tufafin addini a wurin aiki ga ma'aikatan sufuri da ma'aikata a wuraren ninƙaya da kasuwanni. Me ya sa aka gabatar da dokar? An ɗauki tsawon lokaci ana nazarin wannan daftarin dokar, amma hare-haren masu kaifin kishin Islama na baya-bayan nan ya sake ƙarfafa buƙatar samar da ita. Kisan Paty na daga cikin hare-hare uku da suka fusata Faransa. An kashe mutane uku ta hanyar daɓa musu wuƙa a a cocin Nice a watan Oktoba. An caka wa ƙarin wasu mutane biyu wuƙa da ji musu mummunan rauni a watan Satumba a Paris kusa da tsohon ofishin mujallar Charlie Hebdo, inda masu kaifin kishin Islama suka kai mummunan hari a 2015. French President Emmanuel Macron says France 'will never give in' Shugaba Macron ya kasance mai kishin kare martabar Jamhuriyyar Faransa ciki har da matsayin kasar a ƴar ba ruwana da kowanne addini. Ya bayyana addinin Islama a matsayin ''addinin rikici'' kuma ya kare ƴancin jaridar Charlie Hebdo na buga zane-zanen Annabi Mohammed. Faransa tana da kimanin Musulmai miliyan biyar. Wanne martani ake mayarwa ? Mutane da dama a faɗin duniya musamman a ƙsashen musulmai na yi wa Mista Macron kakkausar suka a ƙasashe da dama da ke da rinjayen Musulmai. Dangantakar ƙasarsa da Turkiyya, wacce tuni ta yi tsami, ta ƙara taɓarɓarewa inda Shugaba Recep Tayyip Erdogan ya bayyana dokar a zaman \"tsokana ce ta buɗe ido\" kuma ya ce Mista Macron \"yana da taɓin hankali\". An gudanar da zanga-zanga a Pakistan da Bangladesh da Lebanon. Wakilin Amurka kan ƴancin addini, Sam Brownback, shi ma ya yi suka, yana mai cewa: \"Lokacin da kuka sami ƙarfin iko, lamarin na iya kara taɓarɓarewa.\" A Faransa ita kanta, wasu 'yan siyasa masu sassaucin ra'ayi sun nuna damuwa kan yadda da alama dokar na iya tozarta musulmai. Jaridar Le Monde ta ce hakan na iya shafar sauran ƙungiyoyin addini da ke koyar da karatu a cikin gida. Amma wakiliyar BBC a Paris Lucy Williamson ta ce matsin lamba ya ƙara ƙamari kan lallai Shugaba Macron da ya ɗauki mataki."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44248112", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48809307", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের কাছে চিঠি লিখে সিঙ্গাপুর সামিট বাতিলের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি কিম জং-আনের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লিখে বৈঠক বাতিলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, যাকে 'ট্রাম্প স্টাইল কূটনীতি' হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই চিঠি থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আরো কী ধারণা করা যায়? সেই বিশ্লেষণ করেছেন উত্তর আমেরিকায় বিবিসির সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুর্চার। প্রথম অনুচ্ছেদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিতে সবচেয়ে আগে যেটা চোখে পড়বে, তা হল, ''হিজ এক্সেলেন্সি'' বলে সম্বোধন, যা কিম জং-আনের ক্ষেত্রে বিরলই বলা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি এটা অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক ধরণের চিঠির সূচনার মতো, যেখানে শুরুতে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার সময়, ধৈর্য আর উদ্যমের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। চিঠিতে প্রথমেই মি. কিমের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, দুই পক্ষের অনেকদিনের আগ্রহ আর আলোচনার পর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে বলা হয়, তারা (মার্কিন সরকার) জানতে পেরেছেন যে, উত্তর কোরিয়ার অনুরোধেই বৈঠকটির আয়োজন হয়েছে, যদিও তাদের কাছে (হোয়াইট হাউজ) তা পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক। (গত মার্চে প্রথম এই পরিকল্পনাটি আসে, যদিও মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়।) এরপরে তিনি বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সাম্প্রতিক ক্ষোভ ও প্রকাশ্যে বিরূপতা প্রদর্শনের কারণে এখন এ ধরণের বৈঠক করা ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। তবে এই চিঠির আসল বক্তব্য এসেছে শেষের দিকে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কলম থেকে আসলে বিষ বের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা পারমানবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের টানেলটি ধসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা আবার পারমানবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছে আর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য (একজন রাজনৈতিক পুতুল) করেছে। মি. ট্রাম্প এর আগে অনেকবারই প্রমাণ দিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়ার কোন কটূ কথার তিনি ছাড় দেবেন না। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে বর্ণনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের পারমানবিক হুমকি-ধামকির তিনি জবাব দিয়েছেন তার নিজস্ব ধরণের কথার আরেক দফা গরম ফুলকি ছড়িয়ে। যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর শক্তিশালী পারমানবিক অস্ত্রের কথা তুলে লিখেছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যেন, সেগুলো কখনো ব্যবহার করতে না হয়। ব্যাপারটা যেন গত গ্রীষ্মে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর সেই মুহূর্তের মতো, যখন আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সামরিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। এই চিঠির শুরুটা হয়তো কূটনৈতিকভাবে শুরু হয়েছে, কিন্তু তারপরেই মি. ট্রাম্পের ভাষা বেরিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ চিঠির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে কূটনৈতিক ভাষা আবার ফিরে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দুই জাতির মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, কোন একদিন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে আগ্রহী। তিনজন আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়া সুন্দর সৌজন্যতা বলে তিনি বর্ণনা করেছেন, যাদের একজনকে শ্রম শিবিরে পাঠানোর শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তবে অনেক সমালোচক প্রশ্ন তুলতে পারে, এ ধরণের প্রশংসা করার জন্যে এই চিঠি উপযুক্ত জায়গা কিনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, বৈঠক বাতিল হওয়ায় সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো। তৃতীয় অনুচ্ছেদ শেষ অনুচ্ছেদে আবার ব্যবসায়িক ভাষার ধরণ চলে এসেছে, যেখানে মি. ট্রাম্প লিখেছেন, ''আপনি যদি এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি করার ব্যাপারে মনোভাব পাল্টে থাকেন, আমাকে ফোন করতে বা চিঠি লিখতে ইতস্তত করবেন না।'' চিঠিটা শেষ হয়েছে একটি হতাশার কথা জানিয়ে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ''সারা বিশ্ব, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, শান্তি. উন্নতি আর সমৃদ্ধির একটি বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করলো।'' এই বৈঠকের বিষয়ে সময় আর স্থানের কথা জানিয়ে নিজের টুইটে মি. ট্রাম্প লিখেছিলেন, এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বিশ্ব শান্তির জন্য খুবই বিশেষ একটি মুহূর্ত। তার সমর্থকরা বলেছেন, তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া উচিত। মি. ট্রাম্পও সেটি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, ''অনেকেই সেটা মনে করে।'' আরো বলেছিলেন, ''আমি যে পুরস্কার চাই, তা হল, বিশ্বের জন্য একটি বিজয়''। তবে তার বদলে এখন তাকে লিখতে হচ্ছে, বৈঠক বাতিল হওয়ায় ''ইতিহাসের জন্য একটি দুঃখজনক অধ্যায়।''", "doc2": "A wani sakon Twitter da ya fitar da sassafe daga wurin taron manyan kasashe 20 mafiya karfin tattalin arziki a duniya , wato G20 da ake yi a birnin Osaka na Japan, Mista Trump, ya mika goron gayyata ne kawai, ga Mista Kim, cewa idan har takwaran nasa na Koriya ta Arewa ya ga rubutun sakon, to zai hadu da shi ne kawai a yankin iyakar kasashen Koriyar biyu, ya yi hannu da shi, ya ce masa barka, yaya dai? Daman ba wannan ne farau ba, domin ko da ganawa ta biyu ta shugabannin biyu a Vietnam can baya a watan fabrairu, ta watse ne ba tare da wata yarjejeniya ba, to amma tun a sannan sun ci gaba da musayar wasiku, wasikar da a lokacin daga baya Mista Trump ya bayyana kyakkyawa. Tun daga sannan ake sa ran ganin hada ganawarsu ta uku, to amma wannan goron gayyata na Mista Trump ga Kim Jong Un, ya kawar ga tsammanin zamansu ke-ke-da-ke-ke illa dai kawai su hadu a yankin iyakar Koriya ta Kudu da ta Arewar, inda ba a ayyukan soji, su sha hannu kawai, kowa ya yi gaba, ya nufi inda ya fito. Shugaban na Amurka zai ziyarci Koriya ta Kudu ne bayan taron kolin na G 20 a Japan, inda zai sauka a Seoul babban birnin Koriya ta Kudun, a ranar Asabar , a rangadin kwana biyu da zai yi a kasar da nufin ceto batun raba Koriya ta Arewa da makaman nukiliya. Shi dai Mista Truymp ya sha nanata cewa dole ne Koriya ta Arewa ta wargaza makamanta na nukiliya kafin a cire mata takunkumin tattalin arzikin da aka sanya mata. To amma a maimakon hakan, tun bayan ganawar shugabannin biyu a birnin Hanoi, Koriya ta Arewar sai ma kara gwajin makamai masu linzami take yi. Ko a makon da ya wuce ya aika wa da Shugaban na Koriya ta Arewa wasika, wadda Mista Kim ya yaba da kalaman da ta kunsa. A martanin da Koriyar ta mayar game da gayyatar ta Mista Trump, Koriya ta Arewa ta hannun mataimaki na farko na ministan harkokin wajenta Choe Son Hui, ta ce sun ga sakon na Twitter, kuma yana da kyau, amma ba su same shi a hukumance ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51887359", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-51918294", "doc1": "ইতালির উত্তরাঞ্চলের মানুষ করোনভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখনও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে একশ জন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালের পর্যাপ্ত বিছানার ব্যবস্থা করতে রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা। যুদ্ধ বিগ্রহ ছাড়া কোন দেশের এমন পরিস্থিতি ভাবা যায় না। উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডিয়া অঞ্চলের বার্গামো শহরের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের প্রধান ডা. ক্রিশ্চিয়ান সালারোলি ক্যুরিয়েরে ডেলা সেরা নামে এক সংবাদপত্রকে তার হাসপাতালের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, \"৮০ থেকে ৯৫ বছর বয়সের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি ভীষণ শ্বাসকষ্টে ভোগেন তবে আপনি চিকিৎসার জন্য এগিয়ে যেতে চাইবেন না।\" \"এগুলো ভয়াবহ কথা, তবে আফসোসের বিষয় যে এটি সত্যি ।\" কাকে বাঁচাতে কতটা চেষ্টা করবেন - ইটালিতে চিকিৎসকরা এখন সেই কঠিন নৈতিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: ভাইরাস রোধে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কী নিতে পারে সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর ইতালিতে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। 'বেছে নেয়ার কঠিন প্রক্রিয়া' করোনাভাইরাসে ইটালিতে শুক্রবার পর্যন্ত ১৭,৬৬০ সংক্রমিত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১,২৬৮ জন, যেটা চিনে মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যার দিক থেকে জাপানের পর বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইটালি। যার অর্থ যদি ভাইরাসটি ঐ বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমিত হয় তাহলে তারা মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকবেন। এই মাসের শুরুতে, ইটালিয়ান সোসাইটি অব অ্যানাস্থেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া, পুনর্বাসন ও ইন্টেনসিভ থেরাপি (এসআইএএআরটিআই) কিছু নৈতিক সুপারিশ প্রকাশ করেছে। সেখানে ডাক্তারদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বিশেষ পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র কাদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য শয্যা দেয়া হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়, প্রয়োজন হলেও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে প্রত্যেকের জন্য জায়গা থাকবে না। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রোগীদের ভর্তি করার পরিবর্তে, চিকিৎসক ও নার্সদের এক কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নিবিড় চিকিৎসায় যাদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি সেই রোগীদের প্রতি মনোনিবেশ করার কথা বলা হয়েছে। এসআইএএআরটিআই বলছে - 'কিছু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া এবং অন্যদের জন্য চিকিৎসা সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব তারা দেয়নি। অপর দিকে, এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি যেখানে চিকিৎসকদের বাধ্য করা হচ্ছে তারা যেন চিকিৎসার উপযোগিতার দিকে মনোযোগ দেন। তাদেরকেই চিকিৎসা দেন যাদের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।' উত্তর ইতালির হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। 'সুনামি' ইতালিতে প্রায় ৫,২০০টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ শয্যা রয়েছে। কিন্তু শীতকাল হওয়ায় এর মধ্যে অনেক রোগী শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে ওই শয্যাগুলোয় ভর্তি আছেন। লম্বার্ডি এবং ভেনেটোর মতো উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোয় বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাত্র ১৮০০টি শয্যা রয়েছে। লম্বার্ডির একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ স্টেফানো ম্যাগনান বিবিসিকে বলেন, তারা তাদের সক্ষমতা শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। \"দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, কারণ আমরা করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য আইসিইউ শয্যার সংখ্যা, পাশাপাশি সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর সক্ষমতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি।\" \"আমাদের প্রদেশে, জনবল ও প্রযুক্তি দুটি সম্পদ সম্পূর্ণভাবে ফুরিয়ে গেছে, আমরা এখন কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের নতুন যন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছি।\" এই সপ্তাহের শুরুতে, বার্গামোর আইসিইউ চিকিতৎসক ডা. ড্যানিয়েলে ম্যাশিনির একটি সাক্ষ্য টুইটারে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বর্ণনা করেন যে কীভাবে তাঁর দল রোগীদের 'সুনামিতে' ডুবে গিয়েছিল এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম যেমন ভেন্টিলেটর কতটা মূল্যবান হয়ে উঠেছিল। তার কথায় অনেকটা \"স্বর্ণের মতো\"। \"আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই একটি কারণে আমাদের এখানে প্রতিদিন ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি হতে আসছেন। মুখের লালা পরীক্ষার ফলাফল আসছে একের পর এক। সবই পজিটিভ, পজিটিভ, পজিটিভি। হঠাৎ জরুরি বিভাগ যেন মানুষের ভিড়ে ভেঙে পড়ছে, \" তিনি বলেন। \"আমাদের কিছু সহকর্মী যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত, তারা তাদের স্বজনদের সংক্রমিত করেছেন। এবং তাদের কয়েকজন আত্মীয় ইতিমধ্যে জীবন এবং মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।\" ডাঃ সালারোলি, ক্যুরিয়েরে পত্রিকাকে বলেছেন যে, চিকিৎসা কর্মীদের উপর যে আবেগের বোঝা চাপানো হয়েছে এর প্রভাবে তারা ভেঙ্গে পড়েছেন। তার দলের কিছু চিকিৎসক, যাদেরকে রোগী বেছে নেয়ার এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তারা \"চূর্ণ-বিচূর্ণ\" হয়ে গেছেন। \"একজন প্রধান চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন তরুণ চিকিৎসক যিনি সবেমাত্র যোগ দিয়েছেন, তাকেও এমন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে। তিনি এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন যে তাকে একজন মানুষের ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এটি ব্যাপক হারে হচ্ছে, আবারও বলছি।,\" তিনি বলেন। \"আমি ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞ একজন নার্সকে কাঁদতে দেখেছি।\" চিকিত্সা কর্মীরা বলছেন যে তারা বিশাল মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। বিবিসির সাথে কথা বলতে গিয়ে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি ডি মাইও, ইউরোপজুড়ে থাকা সমস্ত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামগ্রী ও সেবা সমন্বিত করার জন্য একটি একক ইউরোপীয় ইউনিট প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি আশার একটি কথাও বলেছেন যে উত্তর ইটালির দশটি শহরে- যেগুলোকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল- কোনও সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়নি। \"ইটালি, ইউরোপের প্রথম দেশ যেটি এত গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছে,\" বলেন ডি মাইও। \"তবে আমি আশা করি এটা এই অর্থও বহন করে যে ইটালিই সবার আগে জরুরি অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।\"", "doc2": "Yankin arewacin Italiya ne coronavirus ta fi muni a can A yayin da ake samun karuwar daruruwan masu dauke da cutar a kowace rana, Italiya na ta kokarin samar da isassun gadajen asibiti da za su duba marasa lafiya. Shugaban sashen kulawa ta musamman a asibitin Bergamo da ke yankin arewacin Lambordia, Dr Christian Salaroli, ya shaida wa jaridar Corriere della Sera cewa: \"Idan mutum ya kai tsakanin shekara 80 zuwa 95 kuma yana cikin tsananin yanayi na cutar, to watakila ba za ka iya ci gaba da ba shi kulawa ba.'' \"Akwai kalamai masu matukar tayar da hankali, amma kuma a zahiri su ne gaskiyar magana. Ba za mu iya yin abin da za ku kira mu'ujiza ba\" Amma mene ne tattare da wannan annoba a Italiya da har za ta sa a zabi rayuwar wasu a kyale ta wasu? 'Zabi mai wahala' Coronavirus ta yi muni sosai a Italiya - an samu mace-mace har 1,000 daga cikin mutum 15,000 masu dauke da cutar a ranar Juma'ar da ta gabata, wato 12 ga watan Mairs 2020, kusan kashi uku na yawan mace-macen da aka samu a China. Yawan mace-mace ya kai 1,000 a Italiya Majalisar Dinkin Duniya ta ce Italiya ce kasa ta biyu da ta fi yawan tsofaffi baya ga Japan a duniya, abin da ke nufin suna cikin hadarin shiga mummunan yanayi idan cutar ta kama su. A farkon wannan watan ne, kungiyar likitocin da suka kware a yin allurar sa bacci lokacin tiyata ta saki wasu shawarwari ga likitoci, kan wa ya kamata su bai wa gado a asibiti tare da bai wa kulawa, abin da hakan ke nufin ba kowa ne zai samu gado ba. Maimakon bayar da kulawa ga duk wanda aka fara kawo wa asibiti, kungiyar ta shawarci likitoci da malaman jinya da su dinga runtse ido su ba da kulawa ga mutanen da aka fi sa ran za su warke bayan yi musu magani. Kungiyar ta ce: \"Ba wai muna ba da shawarar a ki duba wasu ba ne. Halin da ake ciki ne yake tursasa likitocin su mayar da hankalinsu kan wadanda aka fi sa ran za su warke.\" 'Tsunami' Akwai gadaje a bangaren kula ta musamman kusan 5,200 a Italiya, amma a watannin hunturu yawancin gadajen kan cika da marasa lafiya da ke fama da matsalar numfashi. Akwai gadaje 1,800 kawai a yankunan Lombardy da Veneto a cibiyoyin lafiya na gwamnati da masu zaman kansu. Asibitocin yankin arewacin kasar na fama da rashin isassun gadon kwantar da marasa lafiya Dr Stefano Magnone, wanda ke aiki a wani asibiti a Lombardy, ya shaida wa BBC cewa suna kure yawan kayan aikin da ke hannunsu. \"Lamarin na kara muni a kowace rana, saboda muna kure adadin yawan gadajen da muke da su a bangaren kulawa ta musamman da ma sauran bangarorin don yi wa masu dauke da coronavirus magani,\" a cewarsa. \"A yankinmu, ba mu da sauran wajen ajiye marasa lafiya, sannan duk kayan aikinmu sun kare, muna jira a kawo mana wasu.\" A farkon makon nan wani sako da wani likira a asibitin Bergamo Dr Daniele Macchini ya wallafa a Twitter ya yadu kamar ruwan dare. A ciki ya bayyana yadda tawagarsa take matukar fama da abin da ya kira ''tsunami'' ta yadda kayan aiki suka zama tamkar zinare don daraja. \"Masu dauke da cutar na karuwa, a kowace rana mu kan samu mutum 15 zuwa 20 da ake kwantar da su a asibiti. \"Yawanci sakamakon gwajin suna zuwa ne daf da daf, kowane na nuna marasa lafiyar na dauke da cutar. Sannan ga dakin ba da taimakin gaggawar yana durkushewa,\" in ji shi. \"Wasu daga cikin abokan aikinmu da suka kamu sun shafa wa 'yan uwansu, kuma tuni wasu daga cikin dangin nasu ke cikin halin mutu kwakwai rai kwakwai.'' Jami'an lafiya sun ce suna cikin wani irin yanayi Dr Salaroli ta shaida wa jaridar Corriere cewa yanayin da ma'aikatan lafiya suke ciki ''na tashin hankali ne'' kuma wasu likitocin a tawagarsa suna shiga halin dimuwa kan zabin da suke da shi na su kula da mutum ko su bar shi ya mutu. \"Zai iya faruwa ga babban likita ma balle kuma matasan likitoci da kwanan nan suka fara aikin, suka samu kansu a yanayin da dole suna gani za su bar wasu su mutu. \"Na ga yadda malaman jinya da suka yi shekara 30 suna aiki ke kuka, saboda wannan yanayi.\" 'Rokon Italiya ga Turai' Da yake magana da BBC, Minsitan Harkokin Wajen Italiya, Luigi Di Maio, ya yi kira ga a samar da cibiya daya a yankin Turai da za ta samar da kayayyakin da asibitoci ke bukata a yankin. Amma ya bayyana jin dadi ga yadda har yanzu ba a samu bullar cutar ba a wasu garuruwa 10 da ke arewacin Italiya inda aka sanya dokar ta baci. \"Italiya ce kasa ta farko a Turai da lamarin ya fi muni,\" a cewar Di Maio. \"Amma ina fatan hakan ya sa kasar ta zamo ta farko da za ta fice daga wannan mummunan yanayi.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48867920", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48913007", "doc1": "ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক নারী ফেসিয়াল করাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কায় রাজধানী কলম্বোর কাছেই থাকেন ৩১ বছর বয়সী শিরোমা। গত বছর বিয়ের আগে তিনি তার ত্বকের রঙ ফর্সা করতে চেয়েছিলেন। তার মতো দক্ষিণ এশিয়ায় আরো অনেক নারীই তাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে আগ্রহী। \"বিয়ের দু'মাস আগে আমি একটি সেলুনে গিয়েছিলাম। রঙ ফর্সা করার জন্যে তারা তখন আমাকে একটি ক্রিম দিয়েছিল। দু'সপ্তাহ ব্যবহার করার পর দেখলাম আমার মুখ জ্বলে গেছে,\" বলেন তিনি। \"আমি ত্বক ফর্সা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা পুড়ে গেল।\" শিরোমার যখন তার বিয়ের কেনাকাটা এবং অনুষ্ঠানে কারা কারা অতিথি হয়ে আসবেন সেদিকে নজর দেওয়ার কথা ছিল তখন তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তার ত্বকের চিকিৎসায়। এর পেছনে অনেক অর্থও খরচ হলো তার। \"আমার মুখে প্রথমে শাদা রঙের ছোপ ছোপ দেখা গেল যা পরে কালো দাগে পরিণত হলো।\" সেলুন থেকে তাকে রং ফর্সাকারী যে ক্রিম দেওয়া হয়েছিল সেটি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কোন প্রসাধনী সামগ্রী ছিল না। এই ক্রিম অবৈধভাবে আমদানি করে কালো বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এক বছর ধরে চিকিৎসার পর পেরেইরার গলায় এখনো সেই কালো দাগ রয়ে গেছে। এরকম আরো কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ এখন অনুমোদন নেই এরকম রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। শিরোমার গলায় এখনও কালো দাগ রয়ে গেছে। কিন্তু এই সমস্যা শুধু শ্রীলঙ্কারই সমস্যা নয়। এশিয়া এবং আফ্রিকাতে লাখ লাখ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী, গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে এমন কিছু ব্যবহার করেন যা শেষ পর্যন্ত তাদের জন্যে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। বাজার সারা বিশ্বে গায়ের রং ফর্সা করার এই বাজারের আকার ২০১৭ সালে ছিল প্রায় ৪৮০ কোটি ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এই বাজার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৮৯০ কোটি ডলারে। এর চাহিদা মূলত এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যবিত্ত পরিবারে। রং ফর্সাকারী এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সাবান, ক্রিম, ব্রাশ, ট্যাবলেট। এমনকি ইঞ্জেকশনও রয়েছে। মানব দেহে মেলানিন পিগমেন্টের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই ইঞ্জেকশন এবং এগুলো অনেক জনপ্রিয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেবে দেখা গেছে, আফ্রিকাতে প্রতি ১০ জন নারীর চারজন রং ফর্সাকারী পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নাইজেরিয়াতে। সেখানে ৭৭% নারী ত্বকের রং উজ্জ্বল করার জন্যে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। তার পরেই রয়েছে টোগো, ৫৯% এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫%। এশিয়ায় ৬১% ভারতীয় নারী এবং চীনে ৪০% নারী এসব ব্যবহার করেন। আরো পড়তে পারেন: মিস ইন্ডিয়া'র প্রতিযোগীদের কেন ‘একই রকম দেখাচ্ছে’ গায়ের রং ফর্সা করার 'বর্ণবাদী' অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক কালো কিংবা মোটা শরীর নিয়ে তিক্ত যত অভিজ্ঞতা বলিউড অভিনেত্রীকে গায়ের রং-এর কারণে হেনস্থা বাংলাদেশে রং ফর্সা করার বিজ্ঞাপন। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব জিনিসের প্রতি ভোক্তাদের চাহিদাও বাড়ছে। একই সাথে এসব মোকাবেলা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। গত বছর ঘানাতে কর্তৃপক্ষ গর্ভবতী নারীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিল রং ফর্সাকারী ট্যাবলেট না খাওয়ার জন্যে। কারণ এসব ট্যাবলেটে পাওয়া গেছে এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্লুটাথিওন। গর্ভবতী নারীরা মনে করেন তারা যদি এই ট্যাবলেট খান তাহলে তাদের গর্ভে থাকা সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হবে। এধরনের পণ্য মোকাবেলার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকাতে আছে কঠোর কঠোর আইন। গাম্বিয়া, আইভরি কোস্ট এবং রোয়ান্ডাতে রং ফর্সাকারী যেসব পণ্যে হাইড্রোকুইনোন আছে সেগুলো নিষিদ্ধ করেছে। শরীরে মেলানিনের (বাদামী কিম্বা কালো পিগমেন্ট, যার কারণে ত্বকের রঙ নির্ধারিত হয়) উৎপাদন কমিয়ে দেয় হাইড্রোকুইনোন। একই সাথে এটি স্থায়ীভাবে ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। চিকিৎসা ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন বলছে, \"চর্ম চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে হাইড্রোকুইনোন আছে এরকম পণ্য নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যেসব স্থানে কালো দাগ পড়ে গেছে সেগুলো এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় এবং তাতে ভালো ফল পাওয়াও সম্ভব।\" \"রং ফর্সাকারী ক্রিমের কোনো কোনোটি হয়তো সহায়ক। কিন্তু সেটা একজন ত্বক বিজ্ঞানীর পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় সেগুলো বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে,\" বলেন ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র এন্টন আলেকজানড্রফ। রং ফর্সা করার জন্যে আছে ক্রিম থেকে শুরু করে ইনজেকশনও। কার্যকারিতা তবে ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন বলছে, \"পুরো ত্বক ফর্সা করার নিরাপদ কোন উপায় নেই।\" \"দোকানে যেসব ক্রিম বিক্রি হয় সেগুলো যে আসলেই গায়ের রং ফর্সা করে এমন প্রমাণ নেই। এর উল্টো ফলও হতে পারে। এই ক্রিম আপনার ত্বককে অস্বাভাবিক রকমের শাদা অথবা আরো কালোও করে দিতে পারে। এর ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ত্বকের স্বাভাবিক গুণাবলীও,\" সতর্ক করে দিয়েছেন আলেকজানড্রফ। তবে ম্যালাসমার মতো কিছু কিছু সমস্যার চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকরা রং ফর্সাকারী পণ্য প্রেসক্রাইব করে থাকেন। বয়স হলে শরীরে এরকম সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। এতে ত্বকে বাদামী কিম্বা ধূসর রঙের দাগ তৈরি হয়। বিশেষ করে মুখে। নারীদের দেহে এরকম হওয়ার হার বেশি। বিশেষ করে গর্ভধারণের সময়। \"একজন চর্ম চিকিৎসকের মাধ্যমে ত্বকের রং ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে সেজন্যে অনুমোদিত কিছু ক্রিম আছে যা ডাক্তারদের পরামর্শে ব্যবহার করা যেতে পারে,\" বলেন আলেকজানড্রফ। কঙ্গোতে রং ফর্সাকারী পণ্যের বিজ্ঞাপন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে নারীরা চিকিৎসকদের পরামর্শ ও নজরদারি ছাড়াই এসব রং ফর্সাকারী কসমেটিক ব্যবহার করতে শুরু করে দেন। কিন্তু এসব প্রসাধনীর গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যেমন: মার্কারি কিছু কিছু পণ্য যেগুলো দ্রুত রং ফর্সা করার দাবি করে সেগুলোতে নানা রকমের ক্ষতিকর উপাদানও থাকতে পারে। \"যেসব পণ্যে মার্কারি আছে সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর,\" বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনিরাপদ ক্রিম ব্যবহারের ফলে মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে। কিন্তু তারপরেও মার্কারি আছে এরকম পণ্য চীন, লেবানন. মেক্সিকো, পাকিস্তান, ফিলিপিন, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হচ্ছে। শরীরে মেলানিন গঠনের প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেয় এই হাইড্রোকুইনোন। যেসব পণ্যে মার্কারি আছে সেগুলোর বিক্রি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফ্রিকার বহু দেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফিলিপিন এবং আরো কয়েকটি দেশ অল্প পরিমাণে মার্কারি আছে যেসব পণ্যে সেগুলো বিক্রির অনুমোদন দিয়ে থাকে। স্বাস্থ্য \"মার্কারি হচ্ছে বিষ,\" বলেন আলেকজানড্রফ। তিনি বলেন, এর ফলে নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। মার্কারি আছে যেসব সাবান ও ক্রিমে সেগুলো ব্যবহার করলে যেসব ক্ষতি হতে পারে: (উৎস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) নাইরোবিতে এক নারী মুখে ক্রিম মাখছেন রং ফর্সা করার জন্য। ধারণা \"লোকেরা মনে করেন যে ত্বকের ক্রিম সাধারণত নিরাপদ। এর ফলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হতে পারে এটা নিয়ে তারা চিন্তাও করেন না। এই মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজন,\" বলেন আমেরিকান ত্বক বিজ্ঞানী শুয়াই জু। \"আমার কাছে যেসব রোগী আসেন তারা আমাকে বিভিন্ন রকমের ক্রিম দেখান যেগুলো তারা কোন ধরনের প্রেসক্রিপশান ছাড়াই বাজার থেকে কিনেছেন। সেগুলো দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়ে যাই, বলেন তিনি। তিনি যেখানে পড়ান সেখানে এসব ক্রিমের ব্যবহারের উপর একটি গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে স্টেরয়েড আছে এরকম কিছু কিছু ক্রিম ঠিকমতো ব্যবহার না করলে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। অনেক ক্রিমে ক্ষতিকর মার্কারিও পাওয়া গেছে। বিপদ বিপদজনক এসব পণ্যের বিক্রি ঠেকাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে ড. শু। \"ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প যেরকম নিয়ন্ত্রিত, কসমেটিক শিল্প সেরকম নয়। শীর্ষস্থানীয় যেসব কোম্পানি আছে তারা এধরনের বিপদজনক পণ্য তৈরি করে না। কিন্তু এধরনের পণ্য যখন বাইরে থেকে আমদানি করে আনা হয় তখনই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়,\" বলেন তিনি। বাজারে এরকম অনেক জাল পণ্য বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করা কঠিন। যারা এসব উৎপাদন করে তাদেরকে পাকড়াও করাও সহজ নয়। ড. শু বলেন, কিছু কিছু পণ্য আছে যেগুলোতে কী কী উপাদান আছে সেসবও উল্লেখ করা হয় না। \"আপনি জানতেও পারেন না কারা এসব উৎপাদন করেছে। পণ্যটি ধরে এর উৎপাদনকারীদের খুঁজে বের করাও সম্ভব হয় না।\" ফলে ত্বকের রং ফর্সা করার এরকম দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে লোকজনকে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। মার্কারি আছে এরকম ক্রিম ব্যবহারের ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করতে সামাজিক আন্দোলন। \"অনেক পণ্যই নিরাপদ। কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে এসব জিনিস কেনেন তখন আপনাকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে,\" বলেন তিনি। সামাজিক আন্দোলন এসব পণ্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে অনেকে সিনেমা নাটকের মতো বিনোদন শিল্পকে দায়ী করে থাকেন। কারণ এগুলোতে বিশেষ ধরনের শারীরিক কাঠামো ও ত্বকের রং-এর উপর জোর দেওয়া হয়। আর এর ফলে হুমকির মুখে পড়ে লাখ লাখ নারীর স্বাস্থ্য। গায়ের রং ফর্সা হতে হবে - এই মানসিকতার পরিবর্তনের জন্যে বিভিন্ন সমাজে নানা ধরনের আন্দোলন চলছে। ভারতে এরকম এক আন্দোলনের নাম: 'কালোই সুন্দর।' পাকিস্তানে এরকম এক আন্দোলনের স্লোগান: \"সুন্দর হতে হলে আপনার ত্বকের রং ফর্সা হতে হবে না।\" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে যে কারণে চোখ রাখবেন গ্রামীণ-রবির ব্যান্ডউইথ কমানোর নির্দেশ অভিবাসী শিবিরে হামলায় এক বাংলাদেশি নিহত হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই যেভাবে করা হবে", "doc2": "Matan Indiya da dama suna yin bilicin Tana zaune ne a kusa da Colombo, babban birnin Sri Lanka. Kamar dai sauran mata Kudancin Asiya, ta yanke shawarar fara bilicin ne shekara guda kafin aurenta, don ta kara kyau da sheki. Ta shaida wa sashen BBC Sinhala cewa: \"Wata biyu kafin auren na je shagon gyaran gashi na mata suka ba ni wani mai da zan yi amfani da shi don ya sa ni fari. \"Bayan da na yi amfani da man na tsawon mako guda sai fuskata ta yi fari tas. So na yi na dan yi haske kadan amma a karshe sai fatata ce ta kone.\" Dabbare-dabbare a jiki A maimakon matashiyar mai shekara 31 ta mayar da hankali wajen shirin bikinta da gayyatar bakin da za su je, sai ga shi duk ta kashe kudadenta a wajen magance illar da man bilicin ya yi mata. Shiroma Pereira ta sha fama da illar da bilicin ta jawo mata - inda ya bar mata tabo a jikinta da bayan wuyanta \"Wasu kuraje suka feso min a jiki sannan jikin duk ya yi dabbare-dabbare.\" Man bilicin din da aka ba ta a shagon gyaran gashin ba ya cikin mayukan da hukumomi suka yarda a yi amfani da su a Sri Lanka. An shigar da shi kasar ne ba bisa ka'ida ba ta kasuwar bayan fage. Ana iya ganin dabbare-dabbare a wuyan Pereira har bayan da ta kammala magance matsalar. A yanzu dai hukumomi a Sri Lanka suna yaki da sayar da mayukan bilicin a kasar sakamakon yawan samun korafe-korafen illarsu. Kasuwa Amma wannan matsala ba a Sri Lanka kawai ta tsaya ba. Miliyoyin mutane mafi yawa mata a yankin Asiya da Afirka suna daukar tsauraran matakai don su koma farare. An kiyasta cewa kamfanonin da ke yin mayukan bilicin a duniya suna da jumullar kudi dala biliyan 4.8 a shekarar 2017, kuma an yi hasashen cewa hakan zai nunka sau biyu zuwa dala biliyan 8.9 a shekarar 2027. Yawanci 'yan Asiya da Afirka ne suka fi bukatar mayukan. An yi hasashen cewa kudin da kasuwar mayukan bilicin ke samu zai kai dala biliyan 8.9 a shekarar 2027 Kayan bilicin sun hada da sabulai da mayuka da kwayoyin magani har da ma allurai da aka tsara don su sanya sinadarin melanin ya dinga fita a hankali, kuma sanannu ne sosai. A cewar Hukumar Lafiya Ta Duniya WHO, duk mata hudu daga cikin 10 a Afirka na amfani da mayukan bilicin. A Afrika, Najeriya ce kan gaba inda kashi 77% na matan kasar ke amfani da mayukan bilicin. Sai Togo da ta zama ta biyu da kashi 59% sannan Afirka Ta Kudu mai kashi 35%. A Asiya kuwa Indiya ce kan gaba inda kashi 61% na matan kasar ke bilicin, sai China mai kashi 40%. Kalubale na karuwa Karuwar bukatar kayayyakin bilicin ya sa kalubalen na karuwa. A bara hukumomi a Ghana sun yi gargadi masu ciki kan shan magungunan bilicin da ke dauke da sinadaran glutathione. Kayayyakin bilicin sun hada da mayuka da sabulai da magungunan hadiya da allurai Mata a kasar na shan maganin ne da fatan 'ya'yan da za su haifa su zama farare tun daga ciki. Afirka Ta Kudu tana da tsauraran matakai kan hana amfani da kayayyakin bilicin. Gambiya da Ivory Coast da kuma Rwanda a farkon shekarar nan duk sun haramta amfani da kayayyakin bilicin da suke dauke da sinadarin hydroquinone, wanda ke rage samuwar da melanin, amma kuma zai iya jawo lalacewar jiki na din-din-din. Melanin wani sindari ne mai launin ruwan kasa da baki wanda ke bai wa fata kala. Yin magani Cibiyar Kula da Lafiyar Fata ta Birtaniya ta ce, \"ana iya amfani da kayayyakin da ke dauke da sinadarin hydroquinone ba tare da sun yi wata illa ba karkashin kulawar babban likitan fata don magance wuraren da ya yi dabbare-dabbare a jiki kuma ya yi aiki.\" Mafi yawan 'yan Congo na amfani da mayukan bilicin masu dauke da sinadarin hydroquinone Cibiyar ta kuma ce wasu kayayyakin bilicin din suna da amfani a bangaren lafiya. \"Wasu mayukan bilicin din suna iya taimakawa, amma dole sai idan likitan fata ne ya ba da izinin amfani da su kuma karkashin kulawarsa, idan ba haka ba suna iya yin illa,\" a cewar Anton Alexandroff, mai magana da yawun cibiyar. Biyan bukata Ammam cibiyar ta jadda cewa \"babu wata sahihiyar hanya da likitoci suka yi amanna da ita da ta mayar da dukkan jiki fari.\" Sinadaran da ake hada mayukan da su na jawo wa jiki mummunar illa \"Babu wata hujja da ke nuna cewa mayukan da ake saya barkatai na iya taimakawa. Za a iya samun biyan bukata. Za su kuma iya mayar da jikin fari ko kima ma ya fi da baki, kuma fata za ta rasa muhimman abubuwan da suke taimaka mata,\" kamar yadda Alexandroff ya yi gargadi. Amma likitoci kan bayar da umarnin amfani da wasu kayayyakin bilicin don warkar cututtuka kamar cutar fata ta melasma. Wata cutar fata ce da manya ke yi inda jikin ke yi dabbare-dabbaren ruwan kasa ko fari, kuma yawanci a fuska. Mata sun fi fama da ita, musamman idan suna da ciki. \"Likitan fata na iya ba da ire-iren mayukan bilicin da hukumomi suka yarda da su don magance cutar,\" a cewar Alexandroff. Illar su Aama yawanci mata sun fara saye da amfani da kayayyakin bilicin ba tare da izinin likitoci ba, amma kuma suna iya yi musu mummunar illa kamar: Fesowar kuraje da kuma kumburin fata Kwaile fata da radadi Kaikayi da tashin fata (Bayanai - Hukumar Lafiya Ta Birtaniya NHS) Sinadarin Mercury Wasu kayayyakin da ake bilicin da su na dauke da sinadarai masu illa. Masu bincike sun gano cewa mayukan bilicin masu dauke da sinadarin Mercury na da illa ga lafiya WHO ta ce \"Mayukan bilicin masu dauke da sinadarin Mercury na da illa ga lafiya.\" Sannan ta kuma gano \"kayayyakin da ke dauke ds sindarin mercury ana yin su ne a China da Dominican Republic da Lebanon da Mexico da Pakistan da Philippines da Thailand da kuma Amurka\". Kayayyakin na dauke da sinadarai masu cutarwa kamar yadda sinadarin mercury ke rage samuwar sinadarin melanin. Kungiyar Tarayyar Turai da wasu kasashen Afirka sun haranta amfani da mayukan jiki da ke dauke da sinadarai masu illa. Amurka da Canada da Philippines wasu tsirarun kasashen sun bayar da damar sanya mercury kadan. Lafiya \"Mercury guba ne,\" a cewar Alexandroff, kuma zai iya jawo matsalolin da suka shafi lafiya. Babbar illar mercury da ke cikin mayuka da sabulan bilicin su ne: (Bayanai: WHO) Tunanin mutane \"Mutane na dauka cewar dukkan mayukan fata ba su da illa. Mutane da dama ba sa tunanin barzanar hakan ga lafiya. Dole mu damu da wannan halayyar,\" in ji wani likitan fata a Amurka Shuai Xu. \"Ko yaushe ina mamaki idan marasa lafiyar da ke zuwa wajena suka nuna min mayuka daban-daban da suka saya ba tare da izinin likita ba.\" Yana koyarwa a Makaranta Likitanci ta Feinberg ya kuma yi bincike a kan illar da mayukan shafawa ke da su. Wasu mayukan na dauke da sinadaran steroids da ka iya illata mara lafiya in dai ba likita ne ya bayar da shawara ba. Illa Dr Xu yana kokarin ganin an sanya tsaurarn matakai don daina samar da kayayyaki masu illa. \"Ba a sa wa kasuwar samar da kayan shafa ido kamar yadda ake yi wa ta magunguna. \"Manyan masana'antu na kaucewa amfani da kayayyaki masu illa, amma muna da matsaloli da yawa ta bangaren shigo da kayan shafe-shafe.\" Kasuwar cike take da kayayyaki marasa inganci wadanda da wahala a gane su. Yana yi wa manyan masana'antu matukar wahala su hana kungiyoyin da suke samar da jabun kayayyakin. Dr Xu ya ce wasu kayayyakin ma ba a rubuta sinadaran da aka yi amfani da su a jiki. \"Ba ka san wa yake samar da su ba. Kuma ba za ka iya mayarwa masu sayarwa ba.\" Ya yi gargadi mutane da su kauracewa irin wadannan kayayyakin su nemi mafita. \"Gaba daya dai a iya ce dukkan kayayyakin ba su da illa. Amma idan za ku sayi mayukan bilicin masu karfi sosai a intanet to fa dole sai kun kula.\" Fafutuka Ana zargin masana'antar fina-finai ta duniya da nuna bambancin kalar jiki, abin da ke sa miliyoyin mata rashin yarda da kansu. Kungiyoyi da dama sun kaddamar da kamfe domin magance wannan matsala Kungiyoyi da dama sun kaddamar da kamfe domin magance wannan matsala. \"Baki kala ce mai kyau\" na daya daga cikin kamfe din da aka kaddamar don karfafawa matan indiya gwiwa don su kaucewa mayukan bilicin. Wadanda suka shirya gangamin Pakistani equivalent UnFair & Lovely sun yi amfani da wani sako da ke cewa \"Ba sai kina fara ne za ki kasance kyakkyawa ba\". Shirin Beautywell Project na Amurka kuwa an kaddamar da shi ne domin hana al'ummar 'yan ci ranin Somaliya amfani da kayan bilicin. Abar bauta Suruthi Periyasamy 'yar yankin Tamil Nadu ta kudancin Indiya ne. Shekara biyu da suka gabata matashiyar mai shekara 24 ta dauki hoto ta hanyar kwaikwayon wata abar bauta Lakshmi (abar bautar da mabiya addinin Hindu suka yi amannar tana azurta mutum) a wata fafutuka mai taken 'Dark is divine'. Ma'anar kamfe din ita ce don a nuna cewa ko abar bautar ma ana siffantata a matsayin baka ce. An fi sa fararen mata a fina-finai"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2013/08/130801_pg_jamaat_registration_void", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/news/2013/07/130731_inec_registers_apc", "doc1": "বিচারপতি এম মোয়াজ্জম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, এবং বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বেঞ্চ আজ এই রায় ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না থাকলে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। তাই এ রায় বহাল থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে জামায়াত ইতিমধ্যেই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বিবিসিকে বলেছেন, তারা আপিল করেছেন এবং এর মধ্যে দিয়ে তারা রায় স্থগিতের আদেশ পাবার চেষ্টা করবেন।স্থগিতাদেশ পেলে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাধা থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের প্রতিক্রিয়া শুনুন এখানে> এ রায়ের প্রতিবাদে সংগঠনটি আগামী ১২ই আগস্ট থেকে ৪৮ ঘন্টার হরতালও ডেকেছে। নির্বাচন কমিশনের একজন আইনজীবী মোহসিন রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হলে জামায়াতে ইসলামী তাদের নির্ধারিত প্রতীক পাবার অধিকার এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারের সময় পাবার অধিকার হারাবে। ২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অন্য কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠনের ২৫ জন নেতার এক আবেদনের পর হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় হলো। ওই আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও ভাবধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আজ উচ্চ আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর যে নিবন্ধন তা অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষিত হলো। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবীরা বলেছেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিল। আইনানুযায়ী কোন দল নিবন্ধিত না হলেও সংগঠন হিসেবে সক্রিয় থাকতে পারে, কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।", "doc2": "Jam'iyyar adawa ta APC Sanarwar da Sakataren INEC, Abdullahi Kaugama ya sanyawa hannu, ta ce daga yanzu jam'iyyar APC na daga cikin jam'iyyun siyasar Najeriya. Wannan mataki dai na nufin daga yanzu jam'iyyun adawa na ACN da ANPP da CPC sun dunkule wuri guda. A cewar hukumar ta INEC, a yanzu za ta janye rajistar data yiwa wadannan jam'iyyun da suka dungule. Jam'iyyun adawar dai sun yanke shawarar hadewa wuri guda ne domin tunkarar jam'iyyar PDP mai mulkin Najeriya a zaben shekara ta 2015."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49385498", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49387275", "doc1": "আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। শহরের পশ্চিমে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তালেবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং অন্য আর কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। যদিও কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ও তালেবানসহ সুন্নি মুসলিম জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয় যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে। বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে যখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে। \"সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়,\"তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। \"প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিলো ধোয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হয় নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দু ঘণ্টা পরেও সেখান থেকে মৃতদেহ নেয়া হচ্ছে\"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? কাশ্মীর: হাসপাতালের রোগীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ইসরায়েল ইস্যুতে বিতর্কে পড়া দুই নারী কংগ্রেস সদস্য কারা? যে ছয়টি কারণে আপনার বেতন বাড়তে পারে হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের কান্না বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। \"আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার নিহত বা আহত হয়েছে\"। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার 'তীব্র নিন্দা' জানিয়েছে। মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, \"নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরণের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর আগে কী হয়েছিলো ? সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশদিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিলো। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো তালিবান। শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন যদিও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছে বলে বলা হচ্ছে। কাতারের দোহায় দু পক্ষের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।", "doc2": "Yadda ma'aikatan asibiti suka yi ta fafutukar kwashe wadanda suka jikkata Shaidu sun fayyace wa BBC cewa wata 'yar kunar bakin-wake ce dai ta tayar da bam din a tsakiyar masu shagalin bikin. Da misalin karfe 10:40 na daren Asabar ne aka kai harin a yammacin birnin, inda mafi yawancin mutanen wurin musulmi ne mabiya mazhabar Shi'a. Tuni dai kungiyar Taliban ta ce ba ta da hannu a harin. Har kawo yanzu kuma babu wata kungiya ko mutum da ya dauki alhakin kai harin. Kungiyoyin masu ikrarin jihadi da ke bin mazhabar Sunna kamar Taliban da IS sun sha kai wa 'yan Shi'a hari a yankunan Afghanistan da Pakistan. Fiye da mutum 180 ne suka jikkata The floor of the wedding hall was covered in blood after the explosion Shugaban Afghanistan, Ashraf Ghani ya bayyana harin da aikin 'dabbanci' a shafinsa na Twitter. Wani mai magana da yawun Taliban, Zabiullah Mujaheed ya ce kungiyar ta yi Allah-wadai da harin. A wani sakon waya da ya aika wa 'yan jaridu, ya ce \"Babu hujjar kai irin wadannan hare-hare da manufar kisan mata da kananan yara.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48815459", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48815069", "doc1": "অসামরিকীকৃত এলাকাটিতে কিম জং-আনের সাথে করমর্দন করে একটি ছবি তোলার পর এই পদক্ষেপকে 'বড় অগ্রগতি' হিসেবে উল্লেখ করেন মি. ট্রাম্প। তবে সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু অন্যান্যদের মতে, এই পদক্ষেপের কারণে ভবিষ্যতের আলোচনার পথ সুগম হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই দুই নেতার শেষ আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া সমাপ্ত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া ঐ ব্যর্থ বৈঠকের পর এবারই সাক্ষাৎ করছেন দুই নেতা। আরো পড়তে পারেন: নাগরিকত্ব তালিকায় না থাকায় কি আত্মহত্যা বাড়েছে? বরগুনা হত্যাকাণ্ড: ঘটনাস্থলে থাকলে আপনি কী করতেন? ধর্ষণে বাধা দেয়ায় মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া, আটক ২ ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে এই বৈঠককে? এই বৈঠকের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি বিধায় এটিকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছবি তোলার একটি উপলক্ষই মনে করছেন অনেকে। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার পথে দুই দেশের চলমান আলোচনার অগ্রগতির প্রাথমিক লক্ষণও মনে করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকে। সিঙ্গাপুরে মি. ট্রাম্প এবং মি. কিমের ঐতিহাসিক প্রথম সাক্ষাতের সময় উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার আলোচনা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। সেসময় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলকে 'সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত' করার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই নেতাই, তবে কেউই পরিষ্কার করেনি এর মাধ্যমে কী বোঝাচ্ছেন তারা। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ভেতরে করমর্দন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-আন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে তাদের দ্বিতীয় বৈঠকে আশা করা হয় যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বদলে তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম হস্তান্তর করবে দেশটি। তবে কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে, সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় ঐ বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়। এরপর দুই নেতার মধ্যে আলোচনা থেমে গেলেও গত কয়েক সপ্তাহে দু'জনের চিঠি আদান প্রদান হয়েছে বলে জানা যায়। পানমুনজম গ্রামের অসামরিক অঞ্চলের পাশে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সেনা আসামরিকীকৃত অঞ্চল কী? ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রস্থ এবং ২৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি এলাকাকে অসামরিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেটি কোরিয় উপদ্বীপকে বিভাজিত করেছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী যদিও ঐ অঞ্চলে কোনো সামরিক স্থাপনা বা ব্যক্তি নেই, এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিকায়িত এলাকাগুলোর মধ্যে মনে করা হয়। দুই কোরিয়ার মধ্যে সব আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় সামরিক সীমানির্দেশকারী লাইনের পরে অবস্থিত পানমুনজম গ্রামের 'জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া' বা যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চলে।", "doc2": "Tun da farko Mista Trump ne ya mika goron gayyata ga takwaran nasa na Koriya ta Arewa ta wani sakon Twitter ranar Asabar, cewa yana gayyatarsa su gaisa a kan iyakar kasashen Koriyar. Trump ya je Koriya ta Kudu ne inda suka gana da shugaban kasar Moon Jae-in, inda daga nan ne ya je kan iyakar, har ta kai ma ya shiga bangaren iyakar ta makwabciyar mai masaukin nasa. Wannan ne bulkaguro na farko da Shugaba Trump ya sa kafarsa a kan yankin da ya raba kasashen biyu 'yan uwan juna amma kuma wadanda ke kai ruwa rana a tsakaninsu. Shekara biyu baya ba wanda zai yi tsammanin haduwar shugabannin uku a wannan wurin Kuma kamar yadda ziyarar ta dau hankali, haka kuma tambaya daya daman da mutane ke yi ko zuba ido su gani shi ne amsa gayyatar ta Trump da Shugaba Kim Jong-un ya yi. Ziri ne da ya raba kasashen Koriyar biyu, don gudun fada a tsakaninsu Hukumomin Koriya ta Arewar sun bayyana goron gayyatar da Shugaba Trump ya mika wa shugaban kasarsu ta sakon twitter, na yin hannu da shugaban, su gaisa a kan iyakar, da cewa abu ne mai kyau. Amma kuma da farko sun bayyana cewa babu tabbacin cewa ko Mista Kim zai amsa wannan gayyata, domin a hukumance sun ce ba su samu gayyatar ba. wannan haduwa ta shugabannin ta kasance ta uku kenan a kusan sama da shekara daya, kawai. Zaman tattaunawarsu na Hanoi a watan fabrairu ya watse bayan da suka kasa warware bambance-bambancen da ke tsakaninsu a kan bukatun Amurka na kawar makaman nukiliya, da kuma bukatun Koriya ta Arewar na sassauta mata takunkumi. Mista Trump ya gana da shugaban Koriya ta Kudu Moon Jae-in kafin ya je kan iyakar, inda kallo ya karkata can, kowa aka zuba ido a ga abin zai wakana; Kim Jong-un zai hallara ko kuwa zai yi burus da gayyatar ta shugaban na Amurka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51971210", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-51977176", "doc1": "একটি রোগে ঠেকানোর ক্ষেত্রে পুরো বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটি নজিরবিহীন। কিন্তু এর শেষ কোথায়? মানুষ কবে নাগাদ তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবে? ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের 'ঢেউ উল্টোপথে ঘুরিয়ে' দিতে সক্ষম হবে ব্রিটেন। এর মধ্যে মোটে দেড় সপ্তাহ পার হয়েছে এখন পর্যন্ত। তিনমাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে, কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে অনেক সময় বাকি। সম্ভবত কয়েকবছর পর্যন্ত লাগতে পারে। এটা পরিষ্কার যে যেভাবে বড় বড় শহর বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরারা উপর বিধি আরোপ করা হচ্ছে, সেটি দীর্ঘমেয়াদি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হবে মারাত্মক। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশগুলোকে একটি কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপায় খুঁজতে হবে। একথা ঠিক যে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ তুলে দিলে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। \"এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কৌশল কী হবে এবং সেখান থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসবো -এনিয়ে নিয়ে বড় সমস্যা আছে,\" বলছিলেন এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশেরই কৌশল নেই। এই কৌশল ঠিক করা বড় ধরণের বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ। এর তিনটি উপায় আছে। ১. টিকা দেয়া ২. বহু মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে তাদের মধ্যে এনিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে ৩. অথবা স্থায়ীভাবে মানুষ এবং সমাজের আচার-আচরণে পরিবর্তন নিয়ে আসা টিকা আসতে সময় লাগবে ১২ থেকে ১৮ মাস। এই টিকা গ্রহণ করলে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও তারা অসুস্থ হবে না। যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়া যাবে ততই ভালো। যদি মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না। ইতোমধ্যে আমেরিকায় এক ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক-ভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। যে কোন টিকা আবিষ্কার করলে সেটি প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হয় যে কোন প্রাণির উপর। এক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে প্রথমেই মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের জন্য বেশ দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। কিন্তু এটি সফল হবে কিনা কিংবা বিশ্বজুড়ে এই টিকা দেয়া যাবে কি না - সে নিশ্চয়তা নেই। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কাশি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য জন্য ব্রিটেন যে কৌশল নিয়েছে সেটি হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যাতে হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ না হয়ে যায়। হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে আইসিইউতে জায়গা পাওয়া যাবে না। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্সি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কখন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া সম্ভব নয়। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, \"আমরা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার কথা বলছি যাতে করে দেশের একটি কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়।\" \" আমরা যদি দুই বছরের বেশি সময় যাবত এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।\" কিন্তু এ কৌশলের মাধ্যমে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতদিন টিকবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরণের যেসব সংক্রমণ হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুব ভালো কাজ করেনি। অনেকে মানুষ তাদের জীবনে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে। বিকল্প কী? অধ্যাপক উলহাউজ বলেন, তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে আমাদের আচার-আচরণে স্থায়ী পরিবর্তন নিয়ে আসা যার ফলে সংক্রমণের মাত্রা বেশি না হয়। বর্তমানে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন: কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি জোরদার করা। \"আমরা শুরুতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সনাক্ত করেছি এবং তারা যাদের সংস্পর্শে গিয়েছে তাদেরও খুঁজে বেরি করেছি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।,\" বলছিলেন অধ্যাপক উলফহাউজ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর ঔষধ আবিষ্কার করা সম্ভব হলে সেটি অন্য কৌশলগুলো বাস্তবায়নের জন্যও সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়ার সময় ঔষধ প্রয়োগ করলে তাহলে সেটি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে যাবার বিষয়টি বন্ধ করতে পারে। অথবা হাসপাতালে চিকিৎসা দেবার মাধ্যমে এই রোগের মাত্রা কমিয়ে আনা যাতে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের উপর চাপ কমে। এটি করা সম্ভব হলে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া বা লকডাউনের আগে দেশগুলো বেশি রোগী সামাল দিতে পারবে। এছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে বেশি শয্যার ব্যবস্থা করে অধিক সংখ্যক রোগী সেবা দেয়া সম্ভব। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এটিও একটি উপায়। ব্রিটেনের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ক্রিস হুইটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বর্তমান পরিস্থিতি তেকে বের হয়ে আসার উপায় কী? তিনি বলেন, \" টিকা দেয়াটাই হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান। আমরা আশা করছি এটা যত দ্রুত সম্ভব হবে।\" এছাড়া বিজ্ঞান এর একটা সমাধান খুঁজে বের করবে বলে তিনি আশা করেন। করোনাভাইরাস: 'লকডাউন' করা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতে 'জনতা কারফিউ' করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে মসজিদে নামাজ নিয়ে কী হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস", "doc2": "Wani mataki ne da ba a taba dauka a duniya ba kan wata cuta. Amma yaushe za ta zo karshe kuma yaushe za mu dawo muna rayuwarmu kamar baya. Fira Minista Boris Johnson ya ce ya yi amanna Burtaniya za ta iya shawo kan lamarin a cikin mako 12 kuma kasar za ta fatattaki coronavirus daga cikinta. Amma ko yawan masu cutar ya fara raguwa nan da wata uku masu zuwa, to hakan fa ba yana nufin an kawo karshen matsalar ba ne. Za a dauki tsawon lokaci kafin annobar ta gama tafiya - watakila ma shekaru. Sai dai a bayyane take cewa wannan matakin da aka dauka na dakatar da dukkan al'amura ba zai dore ba. Hakan zai yi mummunan tasiri kan tattalin arzikin duniya da mu'amalar mutane. Abin da kasashe ke bukata shi ne ''daukar matakin fita daga wannan kangi'' - hanyar da za a dage wadannan matakan a koma rayuwa yadda aka saba. Amma ga alama coronavirus ba ta shirya tafiya ba a yanzu. Idan aka dage matakan takaita walwalar jama'a da ke dakile yaduwar cutar, to kuwa lallai za a samu karin mutanen da za su kamu. \"Muna da babbar matsala kan yadda sabon matakin fita daga kangin zai kasance, da kuma yadda za mu fita din,'' a cewar Mark Woolhouse, wani farfesa kan cutuka masu yaduwa a Jami'ar Edinburgh. ''Ba Burtaniya ba ce kawai, babu kasar da ta tanadi matakin fita daga wannan kangi.'' Babban kalubale ne ga fannin kimiyya da zamantakewa. Akwai hanyoyi uku na fita daga wannan balahira. Kowanne daya daga cikin hanyoyin nan zai iya rage yaduwar cutar. Riga-kafi - akalla wata 12-18 Riga-kafi na iya bai wa mutane kariya ta yadda ba za su kamu da rashin lafiya ba ko da sun yi mu'amala da mai cutar. A yi wa mutane da dama riga-kafi, kusan kashi 60 cikin 100 na al'umma, kuma cutar ba za ta zamo annoba ba. An yi gwajin riga-kafin kan wani mutum na farko a Amurka a wannan makon, bayan da aka bai wa masu bincike izini ba tare da bin al'adar da aka saba ta fara yin gwaji kan dabbobi ba. Cibiyar binciken tana aiki ba kakkautawa, amma babu tabbas kan ko za a dace, sannan dole sai an yi riga-kafin a duniya baki daya. Ana dai kyautata zaton za a dauki wata 12 zuwa 18 kafin a kammala samar da riga-kafin. Wannan kuwa lokaci ne mai tsawo ganin irin halin takurar da mutane ke ciki na dakatar da mu'amala da juna. Farfesa Woolhouse ya shaida wa BBC cewa \"Ba zai yiwu a ci gaba da bin wannan matakin ba a lokacin da ake jiran kammaluwar riga-kafi, wannan ba matakin bi ba ne.'' Tari na daya daga cikin alamun cutar Covid-19 Karfin garkuwar jiki - akalla nan da shekara 2 Matakin da Burtaniya ta dauka na gajeren zango don takaita yaduwar cutar ne, ta yadda asibitoci ba za su tumbatsa a rasa yadda za a yi da marasa lafiya ba - saboda idan asibiti ya cika da masu bukatar kulawar gaggawa, to ana iya samun mace-mace da yawa. Idan masu fama da cutar suka ragu, hakan zai bayar da damar sassauta wasu matakan - sai dai idan an samu karuwar masu cutar to dole a sake sanya wasu matakan na takaita zirga-zirga. Sai dai babu tabbas kan hakan. Babban mai ba da shawara kan harkar kimiyya na Burtaniya Sir Patrick Vallance, ya ce \"sanya takamaimai lokaci na faruwar wasu abubuwa ba zai yiwu ba.'' Amma kuma hakan zai iya sa garkuwar jikin mutane da dama ta inganta. Ko da yake, za a dauki tsawon shekaru kafin tabbatar hakan, a cewar Farfesa Neil Ferguson na Kwalejin Imperial da ke London: ''Muna magana ne a kan rage yaduwar cutar a matakin da muke fatan cewa kaso kadan na al'ummar kasar ne za su kamu. ''Don haka a karshe, idan muka ci gaba cikin wannan hali nan da shekara biyu ko fiye, to ba mamaki a wannan lokaci kaso mai yawa na al'ummar kasar na iya kamuwa.'' Amma akwai wata tambaya a kan ko garkuwar jikin wanda ya kamu na iya raguwa. Akwai wasu cutukan da ke jawo mura da suke rage karfin garkuwar jiki don haka sai a ga mutane na yin cuta su kuma ci gaba da maimaita yin ta a rayuwa. Zabi - babu tabbas kan ranar wucewar ta Farfesa Woolhouse ya ce \"Zabi na uku shi ne a tabbatar da samun sauyi kan yadda muke mu'amalarmu don hana cutar ci gaba da bazuwa. Hakan zai hada da barin wasu matakan su ci gaba da aiki. Ko kuma a dinga yin gwaji akai-akai da kuma killace marasa lafiya don su fi karfin annobar. ''Mun yi ta yin gwajin farko-farko da bin diddigin wadanda ake zargin sun kamu amma bai yi aiki ba,'' in ji Farfesa Woolhouse. Samar da maganin da zai magance Covid-19 zai taimaka wajen bin sauran matakan. Za a iya amfani da su da zarar mutane sun nuna alamar cutar don hana su yada wa wasu. Ko kuma yi wa marasa lafiya magani a asibiti don hana cutar yin muni. Wannan zai bai wa kasashe damar shawo kan kula da dumbin mutanen da ke da cutar kafin a bukaci takaita zirga-zirga. Kara yawan gadaje a dakunan jinya na musamman zai taimaka wajen shawo kan cutar idan ta zamo annoba. Na tambayi babban mai ba da shawara kan harkar lafiya na Burtaniya Farfesa Chris Whitty, mene ne matakinsa na fita daga wannan kangi. Ya shaida min cewa\" ''Matakan dogon zango, kamar dai samar da riga-kafi na daya daga cikin hanyoyin fita daga wannan hali kuma muna fatan hakan zai samu nan kurkusa.'' Kuna iya bin James a shafinsa nao Twitter"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2013/10/131017_mrk_world_slavery_india", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/news/2013/10/131017_slavery_mauritania_highest", "doc1": "মানব পাচার- আধুনিক দাসত্ব আর এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষই ভারতে দাসত্বের শিকার। দাসত্ব-বিরোধী প্রচারণায় কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ার এরকম একটি সংস্থা ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন তাদের বিশ্ব দাসত্ব সূচক ২০১৩ নামে তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী নিক গ্রোনো বলছেন, সমস্যা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী নয়। তিনি বলেন, কোন দেশে মানুষ কী ধরনের দাসত্বের জীবন কাটাচ্ছে এবং সেসব দেশের সরকার সমস্যা সমাধানে কী করছে সেটা তারা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। নিক গ্রোনো “অনেক দেশের সরকারের জন্যই এ সমীক্ষার ফলাফল অস্বস্তির কারণ হবে। কিন্তু আমরা চাই সরকারগুলো বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুক এবং সমস্যা মোকাবেলায় উদ্যোগী হোক।” ১৬২ টি দেশের তথ্য নিয়ে তৈরি এই সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতেই সবথেকে বেশি মানুষ দাসত্বের জীবন কাটান – সংখ্যাটা প্রায় দেড় কোটি। তারপরেই রয়েছে চীন আর পাকিস্তানের নাম। বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার দশ নম্বরে। সেদেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ দাসপ্রথার শিকার। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে দাসত্বের জীবন কাটান এমন মানুষের তালিকায় শীর্ষে মরিতানিয়া। সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৪ % মানুষই দাসপ্রথার শিকার। সমীক্ষাটিতে বলা হচ্ছে, ঋণের দায় মেটানোর জন্য যেমন বিনা-পারিশ্রমিকে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়, তেমনই রয়েছেন জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া বা মানব-পাচারেরও শিকার হওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের এই নতুন ধরণের দাসপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে বন্ধুয়া মুক্তি মোর্চা। সবচে বেশি মানুষ দাসত্বের শিকার ভারতে সংগঠনের প্রধান স্বামী অগ্নিবেশ বলছিলেন, এই সমীক্ষার ফলাফল মোটেই আশ্চর্যজনক নয়। স্বামী অগ্নিবেশের কথায়, “৭৮-৭৯ সালেই গান্ধী পিস ফাউন্ডেশন আর ভারতীয় শ্রম ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে ভারতের দশটি রাজ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ দাসত্ব করতে বাধ্য হচ্ছেন। নব্য দাসত্বের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটি উদ্যোগের তিনি প্রধান ছিলেন প্রায় দশ বছর। স্বামী অগ্নিবেশ বলেন, “তখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যে তথ্য আসত, তা থেকেও প্রমাণ পাওয়া যেত যে ভারতেই সবথেকে বেশী মানুষ নতুন ধরনের এই দাসপ্রথার শিকার হচ্ছেন।” নতুন ধরনের এই দাসপ্রথার শিকার হওয়া মানুষদের একটা বড় অংশ শিশু। বিবিসি-র মিডিয়া অ্যাকশন উদ্ধার হওয়া এরকমই কয়েকজন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যারা খুব ছোট বয়সেই দাসত্বের জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরকমই একজনের কথায়, “আমার যখন ৫ বছর বয়স, তখন থেকেই খেলার সময়ে জমিদারের লোকেরা আমাকে নিয়ে গিয়ে খাটাত, মারধর করত। তারপরে যখন বাবা মারা গেলেন, তখন জমিদারের লোকেরা একদিন খেলার সময়ে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। বললো, বাবার নাকি অনেক ধার-কর্জ রয়ে গেছে – সেগুলো শোধ করার জন্য আমাকে খাটতে হবে। ইঁটভাটায় নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু হলো আর সেখানেই কাজ করতে বাধ্য করা হলো।” গঙ্গোত্রী নামের একটি মেয়েকে তার আত্মীয়ই বাড়ির কাজের জন্য তুলে দেয় একটি পরিবারের হাতে। অকথ্য অত্যাচার সহ্য করার পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করে মেয়েটিকে – উঁচু বাড়ির বারান্দায় মই দিয়ে উঠতে হয়েছিল পুলিশকে। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনকে গঙ্গোত্রী তাঁর কাহিনী শুনিয়েছেন। “যাঁদের বাড়িতে আমাকে কাজ করার জন্য দিয়ে এসেছিল কাকা, সেখানে সবসময়ে কাজ করানো হত। খেতে দিত না আর মারধর তো ছিলই। একদিন তো আমার একগোছা চুলই টেনে তুলে দিয়েছিল। ওই বাড়িরই অন্য এক কাজের মহিলাকে আমি অত্যাচারের কথাগুলো জানাতাম।” তার মাধ্যমেই একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁর দুর্দশার কথা জানতে পারে। বাড়ীর মালিকরা বাইরে গিয়েছিল – এরকমই এক সময়ে পুলিশকে নিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করা হয়। এখন ক্লাস সেভেনে পড়েন গঙ্গোত্রী। পড়াশুনোর মধ্যে দিয়েই অত্যাচারের ওই দিনগুলো ভুলে থাকতে চান তিনি। গঙ্গোত্রীর স্বপ্ন শিক্ষিকা হওয়ার। ক্রীতদাস প্রথা আইনত বিলুপ্ত হওয়ার এত বছর পরেও কেন ভারতে দাসত্বের জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন দেড় কোটি মানুষ? স্বামী অগ্নিবেশের ব্যাখ্যা, “ভারতে যে বর্ণবৈষম্য রয়েছে, তথাকথিত নিচু জাতের মানুষের ওপরে যে শোষণ চলে, সেটাই দাসত্বের মূল কারণ। প্রথমে আদিবাসী বা পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় যে জল, জমি, জঙ্গল - সেগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারপরে বাধ্য করা হয় শ্রমদান করাতে।” প্রাচীন দাসপ্রথা তিনি বলেন, “অন্য প্রদেশে পাঠিয়ে দিয়ে শ্রমদানে বাধ্য করানো হয়, আবার চাষের ক্ষেতে, পাথর খাদানে, ইঁট ভাটায়, নির্মাণ শিল্পে বা রত্ন পালিশ করার শিল্পেও লক্ষ লক্ষ মানুষকে এভাবে দাসত্বে জীবন কাটাতে বাধ্য করা হয়। বলতে গেলে অ-কৃষিজ সব ধরনের কাজই নতুন ধরণের এই দাসপ্রথা চলে।” কয়েক দশক ধরে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বামী অগ্নিবেশের মনে হয়েছে স্বাধীনতার দশ বছরের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয় নি – সেটা আংশিকভাবে করা হলো ২০১০ সালে। এতগুলো বছরে তাই কোটি কোটি শিশু দাসত্বে জীবনে কাটাতে বাধ্য হয়েছে – সেই জীবনের মধ্যেই বড় হয়ে উঠেছেন । বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সমীক্ষাটির পেছনে প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটন আর প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারের সমর্থন রয়েছে। মিসেস ক্লিনটন সংবাদ সংস্থা এ পি-কে জানিয়েছেন যে এই সমীক্ষাটি নির্ভুল নয়, কিন্তু দাসপ্রথার মতো একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করার জন্য এটার প্রয়োজন ছিলো।", "doc2": "Miliyoyin jama'a ne ake bautar dasu a kasashensu. Rahoton yace kusan mutane miliyan goma sha hudu ne ke rayuwar bauta a kasar Indiya, amma matsalar tafi kamari a Mauritaniya inda kaso hudu cikin dari na al'ummar kasar bayi ne. Nick Grono shi ne shugaban kungiyar Walk Free Foundation ta kasar Australia wacce ta wallafa rahoton. Yace \"Har yanzu ana samun bautar gado a Mauritania, inda ake haifar 'ya'ya cikin bauta. Ana bautar da maza da mata tare da 'ya'yan da suka haifa, inda ake tilasta musu ayyukan gida ko kuma kiwo,wannan tshohuwar matsala ce a kasar Mauritania.\" Kiyasin yawan bayi: India - 13,956,010 China - 2,949,243 Pakistan - 2,127,132 Nigeria - 701,032 Ethiopia - 651,110 Russia - 516,217 Thailand - 472,811 DR Congo - 462,327 Burma - 384,037 Bangladesh - 343,192"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49092364", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49085234", "doc1": "বরিস জনসন বলছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। এর নানা রকম আনুষ্ঠানিকতা যখন শেষ হবে তখন বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। যুক্তরাজ্য কোন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে কিনা সেই সম্ভাবনার মুখোমুখি দাড়াতে হবে তাকে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট অর্থ কী? সোজা কথায় এর অর্থ দাঁড়াবে এত বড় পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটির বিভিন্ন খাত ও জনগণকে কিছুটা সামলে নেয়ার সময় দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কোন সাময়িক চুক্তি ছাড়াই বিদায় নিতে হবে। দেশটিকে রাতারাতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত যুক্তরাজ্য সেটি আর তারা পাবে না। ইউ সদস্য দেশগুলো থেকে এতদিন আমদানি হতো এমন পণ্যের উপর কর বসে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য তার দাম বেড়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব সংস্থার সাথে যুক্তরাজ্য সম্পর্কিত যেমন, ইউরোপিয়ান আদালত বা ইউরোপিয়ান পুলিশ, এরকম অনেকগুলো সংস্থা থেকে যুক্তরাজ্যকে বের হয়ে যেতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি না হলে রাতারাতি ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাৎসরিকে বাজেটে যুক্তরাজ্যকে কোন অর্থ দিতে হবে না। বর্তমানে তা বছরে নয়শত কোটি পাউন্ড। এটা কি ঠেকানো সম্ভব? সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দেশটির পার্লামেন্টে যে চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন সেটি হল যুক্তরাজ্য ২১ মাসের একটা সময় পাবে বিশাল এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে। তার এই প্রস্তাব সংসদে তিনবার প্রত্যাখ্যান করেছেন সংসদ সদস্যরা। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য তার জন্য লাভজনক চুক্তি নিয়ে দরকষাকষির সুযোগ পেতো। আরো পড়ুন: বরিস জনসন: ব্রিটেনের বিতর্কিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ইস্যু বোঝার সহজ সূত্র এখন যদি কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই হঠাৎ বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা এড়াতে হয় তাহলে দেশটির বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়ে সংসদে নতুন আইন পাশ করতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সময় নিতে সমর্থ হতে হবে অথবা ব্রেক্সিট বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টে টেরিজা মে'র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হবার পর ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ব্রেক্সিটের সমর্থকরা মনে করেন বাণিজ্যের উপর প্রভাব খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে যুক্তরাজ্য। বরিস জনসনের অবস্থান কী? ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই যেকোনো মূল্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ নিশ্চিত করতে চান বরিস জনসন। সেরকমটাই তিনি বলেছেন এক রেডিও সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। আরো পড়ুন: টেরিজা মে-র ব্রেক্সিট চুক্তি এভাবে হারলো কেন? ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর তিনি বলেছেন টেরিজা মে'র প্রস্তাব পুরো বাতিল করে নতুন চুক্তির খসড়া করবেন তিনি। ওদিকে ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের জন্য সময় দেয়ার ব্যাপারে তিনি সমর্থন দেবেন। তবে যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কিভাবে বের হয়ে যাবে সে ব্যাপারে চুক্তি নিয়ে নতুন কোন আলাপ হবে না। সব কিছুর জন্য একদমই কম সময় রয়েছে হাতে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অবশ্য এখন গ্রীষ্মের বিরতিতে রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। বাণিজ্যের জন্য যে অর্থ দাঁড়াবে চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন। যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে তারা মনে করেন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোন বাণিজ্য চুক্তি করার সময় থাকবে না। তাদের মধ্যে বাণিজ্য হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী। তার অর্থ হল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যুক্তরাজ্য কিছু বিক্রি করতে চাইলে তার উপর শুল্ক আরোপ হবে। একই বিষয় ঘটবে যখন ইউরোপের অন্যান্য দেশের পণ্য যুক্তরাজ্যে ঢুকবে। মুক্ত সীমান্তের সুবিধা অনুযায়ী খুব কড়াকড়ি ছাড়া পণ্যের আনাগোনা সম্ভব। কিন্তু চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে বন্দরে বা সীমান্তে এখন দু পক্ষই একে অপরের পণ্যে প্রবেশের আগে অনেক কড়াকড়ি হবে। তাতে কোন কিছু আমদানি রপ্তানি সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়বে। যদিও যুক্তরাজ্য বলছে শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা ৮৭ শতাংশ পণ্যের প্রবেশে তারা কোন শুল্ক আরোপ করবে না। ব্যক্তির জন্য এর যা অর্থ দাঁড়াবে সাধারণ মানুষের জীবনে এর নানাবিধ প্রভাব পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভিসা মুক্ত যাতায়াতের সুবিধাও হারাবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। এখন যেমন কাজের জন্য সহজে একে অপরের দেশে যেতে পারছে ইউরোপের দেশের মানুষজন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তার মানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে যুক্তরাজ্যের সেসব লোকজন নানা খাতে কাজ করতেন তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সে হোক আইনজীবী বা ব্যাংকার। পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপ হলে, বন্দরে সময় বেশি লাগলে বা বাণিজ্যে নানা সুবিধা বাতিল হলে বহু পণ্যের দাম বাড়বে। বিশেষ করে খাদ্য পণ্যে দাম বাড়লে তার প্রভাব অবশ্যই সাধারণ মানুষজনের গায়ে লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আরেকটি সুবিধা হল যেকোনো সদস্য দেশে গিয়ে স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যায় পরলে ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড নামে একটি বিশেষ বীমা ব্যবস্থার আওতায় যেকোনো সদস্য দেশের সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুবিধা পান নাগরিকেরা। সেটি আর থাকছে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গেলে মোবাইল ফোনে রোমিং চার্জ আরোপ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে বাস করছেন তাদের বিদেশী হিসেবে বিভিন্ন নতুন আইনের আওতায় পরতে হতে পারে। যেমন ধরুন ব্রিটেনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কার্যকর থাকবে না। অন্যান্য খবর: কাটা মাথা আতঙ্ক জেঁকে বসেছে প্রত্যন্ত গ্রামে প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে সরকার কি অস্বস্তিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী: কমছে নাকি বাড়ছে?", "doc2": "Mista Boris ya yi nasara a kan abokin takararsa, Jeremy Hunt bayan samun kuri'u 92,153 fiye da 46,656 da Jeremy Hunt din ya samu A ranar Laraba ne dai Boris Johnson zai karbi ragamar shugabanci daga hannun Theresa May. A jawabin da ya gabatar bayan an bayyana shi da wanda ya yi nasara, Mr Johnson ya yaba wa Theresa May inda ya ce \" Abin alfahari ne yin aikin da na yi a gwamnatinta\". Mista Boris ya sha alwashin kammala fita daga tarayyar Turai sannan zai hada kan 'yan kasar tare da cin galaba a kan shugaban jam'iyyar adawa ta Labor, Jeremy Corbyn. Firaiminista mai barin gado, Theresa May ta taya Mr Johnson murna, inda ta yi masa alkawarin ba shi goyon baya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56830329", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56828050", "doc1": "ইরানে মৃত্যুদণ্ড রোধ করার দাবিতে লন্ডনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি এই মানবাধিকার সংস্থা তাদের প্রকাশ করা এক রিপোর্টে বলছে, গত বছর গোটা বিশ্বে যে ৪৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, তার ৮৮ শতাংশই হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ- ইরান, মিশর, ইরাক এবং সৌদি আরবে। অ্যামনেস্টি বলছে, বাকি দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশ যখন এক মারাত্মক ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, তার মধ্যেও এসব দেশ \"নিষ্ঠুরভাবে এবং ঠাণ্ডা-মাথায়\" এই কাজ অব্যাহত রেখেছে। অ্যামনেস্টির এই রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক দশকের মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে কম সংখ্যায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তবে অ্যামনেস্টির এই সংখ্যায় চীনকে রাখা হয়নি। ধারণা করা হয়, চীনে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে চীনে মৃত্যুদণ্ডের তথ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপন রাখা হয়। উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামেও এই বিষয়ে একই রকম কঠোর গোপনীয়তা রয়েছে, ফলে এসব দেশের পরিস্থিতি যাচাই করা প্রায় অসম্ভব। গত বছর ১৮টি দেশে যে ৪৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা অ্যামনেস্টির রিপোর্টে রয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। সেবছর কার্যকর করা হয়েছিল ৬৫৭ জনের মৃত্যুদণ্ড। অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল, ১ হাজার ৬৩৪ জনের। সেখান থেকে গত বছর তা কমে আসে ৭০ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে সার্বিকভাবে কার্যকর করা মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ২০১৯ সালের ৫৭৯ হতে ২০২০ সালে ৪৩০ এ নেমে এসেছে। গত বছর মূলত সৌদি আরব এবং ইরাকে সরকারি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা কমে যাওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে এই সংখ্যা কমেছে বলে মনে করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি এখনো চালু আছে। গতবছর সৌদি আরবে সরকারি হিসেবে ২৭ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম। আর ইরাকে গত বছর ৪৫ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়, যা আগের বছরের তুলনায় অর্ধেক। তবে অ্যামনেস্টির রিপোর্ট বলছে, একদিকে যখন দুটি দেশে এই সংখ্যা কমেছে, তখন আবার মিশরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার বেড়ে গেছে ৩০০ শতাংশ। গত বছর মিশর ১০৭ জনের দণ্ড কার্যকর করেছে। দেশটি সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। যাদের এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তাদের ২৩ জনের সাজা হয়েছিল রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে। অ্যামনেস্টি বলছে, জোর করে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এদের অন্যায্য বিচারের মাধ্যমে এই দণ্ড দেয়া হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে মিশরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার বেড়ে যায়, ৫৭ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। মিশরের আল-আকরাব কারাগার থেকে বন্দী পালানোর এক ব্যর্থ চেষ্টার সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন বন্দী নিহত হয়। তারপর এই ঘটনা ঘটেছিল। বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যার দিক থেকে চীনের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে ইরান। সেখানে গত বছর ২৪৬ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। আরও পড়ুন: সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একজনকে 'ক্রুশবিদ্ধ' বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের এত সমর্থন কেন? কারাগারের 'কনডেমড সেল' আসলে কী? ট্রাম্পের শেষ দিনগুলোয় কেন বার্নার্ডের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো অ্যামনেস্টি বলছে, ইরানের কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক নির্যাতনের একটি অস্ত্র হিসেবে এখন রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, প্রতিবাদকারী এবং সংখ্যালঘু জাতির মানুষদের বিরুদ্ধে আরও বেশিহারে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দিচ্ছে। ইরানে এমন তিন জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, অপরাধ করার সময় যাদের বয়স ছিল ১৮ বছরের নীচে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ কাতার গত বিশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে গত বছর। অ্যামনেস্টি এটিকে একটি 'উদ্বেগজনক পশ্চাতমুখী' পদক্ষেপ বলে নিন্দা করেছে। খুনের দায়ে অভিযুক্ত এক নেপালি পুরুষের এই দণ্ড কার্যকর করা হয় ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে। সৌদি আরবে গত বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা অনেক কমে গেলেও এখনো দেশটি শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে। সৌদি আরবের একটি সরকারি কমিটি বলছে, সেখানে মৃত্যুদণ্ডের হার যে নাটকীয়ভাবে কমে গেছে তার কারণ মাদক বিষয়ক অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ। তবে অ্যামনেস্টি বলছে, এর কারণ হয়তো ভিন্ন। সৌদিরা হয়তো জি-টুয়েন্টি জোটের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়াতে চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছরের বিরতির পর ট্রাম্প প্রশাসন গত বছর ফেডারেল বিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ফিরিয়ে আনে। ছয় মাসের মধ্যে সেখানে দশ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ভারত, ওমান, কাতার এবং তাইওয়ানও মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি আবার কার্যকর করা শুরু করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল আনিয়েস কালামার এক বিবৃতিতে বলেন, \"গোটা বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ থেকে জীবন বাঁচানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, তখন কিছু দেশের সরকার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রদান এবং তা কার্যকর করা অব্যাহত রেখেছে।\" \"মৃত্যুদণ্ড একটি জঘন্য শাস্তি এবং একটি মহামারির মধ্যেও এরকম একটা শাস্তি দেয়া অব্যাহত রাখা থেকে বোঝা যায় এটি আসলে কতটা নিষ্ঠুর একটা ব্যাপার।\" তিনি বলেন, \"যাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার জন্য কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের অনেকেই সামনা-সামনি আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাচ্ছেন না। আর যারা সহায়তা দিতে চান, তাদেরকে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।\" তিনি বলেন, \"এরকম একটা অবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি চালিয়ে যাওয়া মানবাধিকারের ওপর একটি গুরুতর আঘাত।\"", "doc2": "Wani bikin nuna kawo karshen aiwatar da hukuncin kisa a kasar Iran da aka gudanar a birnin London cikin watan Oktoban 2020 Kamar yadda rahoton kungiyar ya bayyana, kasashen Iran da Masar da Iraqi da kuma Saudiyya su ne kashi 88 bisa 100 na rahotannin aiwatar da hukuncin kisa 483 a fadin duniya. Ta zarge su da nuna ''rashin tausayi da halin ko-in -kula'' a yayin da akasarin kasashen duniya suka mayar da hankulansu wajen ceton rayukan al'ummarsu daga mummunar kwayar cuta. Jimillar duka rahotonnin a fadin duniya mafi kankanta ne a cikin shekaru goma, amma bai hada kasar China ba. An yi amannar cewa ƙasar China na aiwatar da hukuncin kisa kan dubban mutane a ko wace shekara, amma kundin bayanan hukuncin kisan da ta ke amfani da shi ya kasance cikin sirrin kasar ne. Haka ma rashin bayanai a kasashen Korea ta Arewa da Vietnam ya hana ruwa gudu wajen bincikar rahotonni daga wadannan kasashe. Hukuncin kisa 483 da aka aiwatar a kasashe 18 da aka bayar da rahoto a shekarar 2020 ya yi nuni da raguwa da kashi 26 bisa dari idan aka kwatanta da 657 a shekarar 2019, sannan ya yi kasa da kashi 70 bisa dari daga karuwar da ya yi na hukncin kisa 1,634 da aka aiwatar a shekarar 2015, a cewar rahoton na Amnesty. A yankin Gabas ta Tsakiya, daukacin adadin ya yi kasa daga 579 a shekarar 2019 zuwa 437 a shekarar 2020. Hakan na faruwa ne saboda raguwar kashi 85 bisa dari na hukuncin kisan da aka aiwatar a kasar Saudiyya inda aka aiwatar da kisa 27 yayin da aka samu raguwar kashi 50 cikin 100 na yawan aiwatar da hukuncin kisa Iraqi da ta aiwatar da kisa 45. Amma kuma, rahoton ya bayyana cewa karuwar kashi 300 bisa dari na kisan a kasar Masar ya mamaye raguwar da aka samu a wasu kasashen, inda aka aiwatar da hukincin kisa kan mutane 107 da ya sa ta zama ta uku a kasashen da suka fi yawan aiwatar da hukuncin kisa a duniya. Ashirin da uku daga cikin mutanen an yanke musu hukuncin ne a bisa dalilan aikata laifukan da suka shafi rikicin siyasa, wanda kungiyar Amnesty din ta ce mummunan rashin adalci ne aka aikata a shari'ar da aka yi amfani da karfin iko wajen tursasa wa mutanen. Akwai kuma karuwa a aiwatar da hukuncin kisa 57 cikin watannin Oktoba da Nuwamba, bayan yunkurin fasa gidan yarin al-Aqrab da bai samu nasara ba, wanda jami'an 'yan sanda da fursunoni da dama da aka yanke wa hukuncin kisa suka rasa rayukansu. Kasar Iran wacce ta aiwatar da hukincin kisa 246 ta ci gaba da kasancewa ta biyu a duniya bayan kasar China. Kungiyar Amnesty ta ce mahukuntan kasar Iran na ci gaba da amfani da hukuncin kisa a matsayin ''wani makami na cimma burin siyasa'' a kan masu zanga-zanga da 'yan adawa, da kuma kananan kabilu. Sun kuma yanke wa mutane uku hukuncin kisa kan laifukan da suka faru lokacin da suke da shekara 18, wanda ya sabawa dokar kare hakkin biladama ta duniya. Wata hukuma a kasar Saudiyya ta danganata raguwar da aka samu a aiwatar da hukuncin kisan a can da ''dakatar da hukuncin kisa kan laifukan da suka shafi miyagun kwayoyi na wucin gadi.'' Amma ta ce Amnesty kila saboda kokarin da kasar ta Saudiyya ke yi wajen kaucewa sukar lamiri kan batutuwan da ke mamaye shugabancinta na kasashe masu karfin tattalin arziki G20. A Amurka, gwamnatin shugaba Trump ta sake ci gaba da aiwatar da hukuncin kisa bayan tazarar shekaru 17 da aka samu, kuma ta aiwatar da hukuncin kisa kan mutum 10 a cikin kasa da watanni shida. Kasashen Indiya, da Oman, da Qatar da kuma Taiwan su ma sun dawo da aiwatar da hukuncin kisan. \"Yayin da duniya ke mayar da hankali kan lalubo hanyoyin kare rayukan jama'a daga annobar cutar korona, gwamnatoci da dama sun nuna wani yunkuri marar dadi wajen komawa aiwatar da hukuncin kisa inda suke ta kashe mutane ta halin ko kaka,'' in ji Agnès Callamard, sakatare janar ta kungiyar Amnesty. \"Hukuncin kisa babban abin damuwa ne kuma yin haka a yayin da ake cikin annoba na nuna tsananin rashin tausayawa,\" in ji ta. Miss Callamard ta ce mutane da ke jiran a aiwatar da musu da hukuncin kisa sun kasa samun hanyar da za su samu taimako a fannin shari'a daga wadanda ke da aniyar taimaka musu. \"Amfani da hukuncin kisa a cikin wannan hali wani babban laifi ne na cin zarafi da keta hakkin biladama,'' a cewarta."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50744013", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50743638", "doc1": "আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চি এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চালানো এক সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অং সান সু চি বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ''অসম্পূর্ণ এবং বেঠিক''। তার কথায়, ওই সেনা অভিযানের পেছনে গণহত্যা চালানোর অভিপ্রায়ের কোন প্রমাণ নেই। মিজ সু চি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সহজ নয়, এবং ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনাবলী শুরু হয়েছিল যখন স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে তিনি স্বীকার করেন, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রকমের শক্তি প্রয়োগ করে থাকতে পারে। মিজ সু চি আরো বলেন, যদি মিয়ানমারের সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিচার করা হবে। জাতিসংঘের আদালত কক্ষে অং সান সু চি বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: হেগের আদালতে শুনানি শুরু, রোহিঙ্গা শিবিরে দোয়া রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি গণহত্যার স্বীকৃতি দিন: সু চি'র উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ীরা তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। অং সান সু চি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রধান বাসভূমি রাখাইন প্রদেশে গোলযোগের ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর, এবং এ সংঘাতকে আরো গভীর করতে পারে এমন কিছু না করতে আইসিজে'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র গাম্বিয়ার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচি, এক সময় ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত ব্যক্তিত্ব - কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ভূমিকার কারণে সেই তিনিই বিশ্বের বহু দেশের নিন্দা ও ধিক্কারের পাত্র হন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিজ সু চিকে দেয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়। গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে মিজ সুচির হাজিরাকে তাই এক নাটকীয় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার আগমন উপলক্ষে দ্য হেগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ১৫ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে ৫০ বছর কাটালেন বিপিএলের বাণিজ্য: সফল নাকি ব্যর্থ যুক্তরাজ্য নির্বাচন: ইসলাম ও ইহুদি বিদ্বেষ যখন ইস্যু শাড়ি পরে নোবেল নিলেন এসথার, ধুতি পরে অভিজিৎ", "doc2": "Aung San Suu Kyi, wadda ta karbi lambar Nobel ta zaman lafiya, ta mayar da martani a kan zargin da ake cewa an aikata kisan kiyashi a akan Musulmi, 'yan kabilar Rohingya a kasarta. A farkon jawabinta, Suu Kyi ta kira karar da aka shigar a kan Myanmar a matsayin marar tushe. Ta ce tashe-tashen hankulan da aka samu a Rakhine, inda yawanci a nan ne 'yan kabilar Rohingya suke, abu ne da ya samo asali tun a baya. Dubban Rohinjawa aka kashe, yayin da wasu fiye da dubu 700 kuma suka tsere zuwa Bangladesh da ke makwabtaka da Myanmar a 2017, lokacin da sojoji suka murkushe 'yan addinin Bhudda. A kodayaushe dai, Myanmar kan hakikance cewa, tana kokarin dakile barazanar da take fuskanta ne daga masu tsattsauran ra'ayi a jhar Rakhine, lamarin da ita kanta Ms Suu Kyi kan bayyana da cewa shi ne ya rura wutar rikicin tsakanin 'yan sa kan Rohingya da dakarun gwamnati. Da take bayani a kan ko dakarun kasarta sun yi amfani da karfin tuwo a wasu lokutan, Ms Suu Kyi, ta ce duk sojan da aka samu da aikata laifin yaki, to za a hukunta shi hukuncin da ya dace da shi. Jama'a sun yi dafifi domin nuna goyon bayansu a kan Aung San Suu Kyi a gaban kotu 'Muna goyon bayanta, kana mun yarda da ita. Ita ce kadai wadda za ta kawo zaman lafiya a kasarmu tare da kawo karshen mummunan yanayin da ake ciki a kasarmu'. Me ya sa aka kai Myanmar kotu? Kasar Gambia, wadda karamar ce ta Muslmai a yammacin Afirka, ta shigar da kara a gaban kotun a madadin sauran Musulmai na kasashen duniya. Abin da Gambia ta bukata shi ne, a shaida wa Myanmar cewa ta dai na kisan babu gaira ba dalili da ake yi a Myanmar. Kotun ICJ Gambia ta dauki matakin ne bayan ministan shari'ar kasar ya ziyarci sansanin 'yan gudun hijrar Rohingya a Bangladesh inda ya ji irin yadda aka ci zarafinsu. Wadanne zargi ake yi wa Myanmar? A farkon shekarar 2017, akwai 'yan kabilar Rohingya da dama a Myanmar, yawancinsu kuma suna zaune ne a jihar Rakhine. Amma Myanmar da yake 'yan addinin Buddha sun mamaye ta, sai suke daukar su a matsayin bakin haure don haka suka ki ba su damar zama 'yan kasa. Daga nan sai 'yan kabilar Rohingya suka fara korafin ana takura musu, inda a shekarar ne dai sojojin kasar suka fara afkawa jihar Rakhine. Tun daga nan ne rikici ya fara."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51802294", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52022809", "doc1": "দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া বয়স্ক লোকেরাও এই ভাইরাসে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন এবং তাদের জীবন এর ফলে হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত যে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, চীনসহ সারা বিশ্বে, তাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ রোগী। তাদের ছিল নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে তারা হৃদরোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে হৃদরোগের মতো বিশেষ কিছু অসুখে ভুগে থাকলে আপনি হয়তো করোনাভাইরাসের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হতে পারেন। এরকম মানুষের জন্যে এখানে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো: কাদের ঝুঁকি বেশি অসুখে ভুগলেই যে আর কারো চেয়ে আপনার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা নয়। শুধু আপনাকে বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার দেহে যাতে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ না ঘটে সেজন্যেই এসব সাবধানতা। কারণ আপনি আক্রান্ত হলে এর উপসর্গ গুরুতর রূপ নিতে পারে এবং আপনি সহসাই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে, যারা একটু বয়স্ক অর্থাৎ যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন, করোনাভাইরাসে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যারা নিচের রোগগুলোতে ইতোমধ্যেই আক্রান্ত তাদের সাবধান থাকা জরুরি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ মানুষই কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্বাভাবিক সর্দি কাশির মতোই প্রথম কয়েকদিন বিশ্রাম নিলে তারা সেরে ওঠেন। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্যে এটা গুরুতর রূপ নিতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে, এই সংখ্যা যদিও অনেক কম, এই ভাইরাসটি প্রাণহানিরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। কীভাবে নিরাপদ থাকবো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্যে সাধারণ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এসব বিষয় মেনে চললেই আপনি খুব সহজেই ভাইরাসটিকে ঠেকাতে পারবেন। বলা হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশি থেকে যে জলীয় পদার্থ নির্গত হয় তার মাধ্যমেই এটি ছড়িয়ে থাকে। ওই জলীয় পদার্থের সংস্পর্শে এলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। আমরা যখন হাঁচি কাশি দেই তখন সেই জলীয় পদার্থ টেবিলে চেয়ারে কিম্বা আমাদের হাতে এসে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নির্গত ওই পদার্থের মধ্যেই থাকে করোনাভাইরাস। তার পর আমরা যখন হাত না ধুয়ে কিছু স্পর্শ করি তখন সেই ভাইরাসটি অন্যান্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ে। যেমন সিঁড়ির হাতল, দরজার হ্যান্ডল ইত্যাদি। একারণে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যা যা করা জরুরি: আমি কি মুখে মাস্ক পরবো? ব্রিটিশ লাং ফাউন্ডেশন বলছে: \"ভাইরাসটি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আমরা মাস্ক পরার সুপারিশ করি না। এগুলো যে খুব একটা কার্যকর তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এছাড়াও যাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে তারা মুখে মাস্ক পরলে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।\" জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে? বেশিরভাগ মানুষই তাদের কাজে যেতে পারেন, যেতে পারেন স্কুল কলেজে এবং অন্যান্য জায়গাতেও যেখানে লোকজন আসা যাওয়া করে। আপনাকে তখনই ঘরের ভেতরে আলাদা হয়ে থাকতে হবে যখন ডাক্তাররা আপনাকে এভাবে থাকার উপদেশ দেবেন। অসুস্থ বোধ করলে কী করবো? করোনাভাইরাসের উপসর্গ হচ্ছে: এসব উপসর্গ থাকলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। লন্ডনে রয়্যাল কলেজের একজন চিকিৎসক ড. জনাথন লিচ বলছেন, \"সবচেয়ে জরুরি রোগীর আতংকিত না হওয়া। হয়তো দেখা যাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ ঠাণ্ডা কাশি বা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে, করোনাভাইরাসে নয়।\" যদি মনে হয় যে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে প্রথমেই হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মেসি কিম্বা ডাক্তারখানায় ছুটে না গিয়ে ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র নার্স ফিলিপা হবসন বলছেন, \"আপনার শরীরে যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে নিজেকে আর সকলের কাছ থেকে আলাদা করে রাখুন। এবং ডাক্তারকে ফোন করে পরামর্শ নিন। ভালো মতো খাওয়া দাওয়া করবেন, খেয়াল রাখবেন শরীর যাতে পানিশূন্য হয়ে না যায় এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম করুন।\" আমি কি ওষুধ অব্যাহত রাখবো? অসুস্থ হয়ে পড়লেও স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে আপনি আগে থেকে যেসব ওষুধ খাচ্ছিলেন সেগুলো চালিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় আপনার যদি ওষুধ ফুরিয়ে যায় তাহলে বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের কাউকে সেই ওষুধ এনে দেওয়ার অনুরোধ করুন। লন্ডনে ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রফেসর পিটার ওপেনশ বলছেন, এরকম অসুস্থ লোকজনের ঘরে কমপক্ষে চার সপ্তাহের ওষুধ থাকা দরকার। ঘরে অতিরিক্ত কিছু খাবার দাবার রেখে দেওয়াও ভালো, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ফ্লু-র টিকা নিতে হবে? করোনাভাইরাস ফ্লুর মতো নয়। এটি একেবারেই আলাদা ধরনের ভাইরাস। ফ্লুর কারণেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এবং কোন কোন ব্যক্তির বেলায় এই ফ্লু গুরুতর রূপ নিতে পারে। ফ্লু-র টিকা নেয়া থাকলে ভালো। বিশেষ করে যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি, শিশু, যাদের আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তারা ছাড়াও গর্ভবতী নারীরাও ফ্লু-র টিকা (ফ্লু জ্যাব) নিতে পারেন। শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি থাকলে? অ্যাজমা ইউকে নামের সংস্থা বলছে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে প্রতিদিন ইনহেলার (সাধারণত বাদামী) নিন। করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাসেও যদি আক্রান্ত হন তাহলে ইনহেলার অ্যাজমা অ্যাটাক থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। তবে নীল রঙের ইনহেলারটিও সবসময় সাথে রাখুন। যদি দেখেন শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে তখন এটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট যদি তীব্র হয় এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ডায়াবেটিস থাকলে যারা টাইপ ওয়ান বা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের বেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাদের বেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। ডায়াবেটিস ইউকে নামের একটি সংস্থার কর্মকর্তা ড্যান হাওয়ার্থ বলছেন: \"যাদের ডায়াবেটিস আছে করোনাভাইরাস কিম্বা কোভিড-১৯ তাদের শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।\" \"আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং কাশি, জ্বর এবং শ্বাস কষ্টের উপসর্গ থাকে, তাহলে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রার ওপর সতর্ক নজর রাখতে হবে।\" দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে যারা দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে সমস্যা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা দুর্বল হলে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এবং এই অসুস্থতা মারাত্মক রূপও নিতে পারে। ব্রিটেনে চিলড্রেন্স ক্যান্সার ও লিউকেমিয়া গ্রুপের পরামর্শ হচ্ছে: যেসব শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের পিতামাতার উচিত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে কী করা উচিত এবিষয়ে পরামর্শ নেওয়া। ব্রিটিশ লিভার ট্রাস্ট বলছে, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমানোর উপায় হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার নিয়ম কানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা। তবে কারো শরীরে এসব উপসর্গ দেখা দিলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? গর্ভবতী নারীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি- এমন কথা বলার পক্ষে এখনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ এড়াতে অন্যদের মতো তাদেরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গাইড লাইন মেনে চলতে হবে। ধূমপায়ী হলে যুক্তরাজ্যে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক একটি দাতব্য সংস্থা অ্যাশের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা আর্নট বলছেন, যারা ধূমপান করেন তাদের উচিত করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান কমিয়ে ফেলা কিম্বা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া। \"ধূমপায়ীদের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা ধূমপান করেন না তাদের দ্বিগুণ।\" তিনি বলেন, \"ধূমপান ছেড়ে দেওয়া নানা কারণেই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখেই তাদের উচিত ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। এতে তার দেহে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।\" ধূমপান ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় বলে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। বয়স্ক হলে কি আলাদা থাকা দরকার? ব্রিটেনে কর্তৃপক্ষের উপদেশ হচ্ছে বয়স্ক লোকজনদের আলাদা থাকার প্রয়োজন নেই। বয়স্ক লোকজনদের নিয়ে কাজ করে এরকম একটি দাতব্য সংস্থা এইজ ইউকের একজন পরিচালক ক্যারোলিন আব্রাহামস বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের উচিত তাদের বয়স্ক আত্মীয় স্বজনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা। \"তাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোন উদ্বেগ থাকলে অথবা এবিষয়ে তথ্যের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।\" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন আক্রান্ত দেশ থেকে এলে ১৪ দিন বাড়িতে থাকুন - আইইডিসিআর", "doc2": "Tsofaffin mutane wadanda garkuwar jikinsu ba ta da kwari sun fi yiwuwar shiga matsala sosai idan suka kamu da coronavirus Idan ka dade kana fama da rashin lafiya, za ka iya damuwa da jin wannan labari. Sai dai kwararru a fannin lafiya sun bayar da shawarwari. Su wane ne ke fuskatar hatsarin kamuwa da cutar? Ko da mutum yana fama da wasu cutukan, bai kai mutumin da ya yi mu'amala da wanda ke da cutar coronavirus yiwuwar daukar cutar ba. Amma dai alamu sun nuna cewa tsofaffin mutane, wadanda garkuwar jikinsu ba ta da kwari da kuma mutanen da ke fama da wasu cutukan, irin su ciwon zuciya da ciwon suga da tarin fuka, sun fi yiwuwar shiga matsala sosai idan suka kamu da coronavirus. Galibin mutane suna warkewa daga coronavirus cikin gaggawa idan suka samu hutun kwanaki kadan. Amma cutar takan zama barazana ga wasu, wasu lokutan ma takan zama ajalin masu dauke da ita. Alalomin cutar sun yi daidai da na sauran cutuka gama-gari, irin su zazzabi da mura: Mutanen da ke da kasadar kamuwa da cutar su ne wadanda shekarunsu suka zarta 70, ko suna fama da wasu matsalolin rashin lafiya ko ba sa yi, da kuma mutanen da ke kasa da shekara 70 idan suna fama da wasu daga cikin wadannan cututtuka: Ana bai wa mutane shawara su rika daukar matakan bayar da tazara wajen mu'amala da juna da zummar rage kasadar kamuwa da kuma yada kwayar cutar coronavirus. An bai wa mutanen da ke da matukar hatsarin kamuwa da cutar shawara su bi wannan tsari sau da kafa. Ina fama da asthma, me ya kamata na yi? Hukumar Lafiya ta Burtaniya ta shawarci mutanen da ke fama da asthma su rika amfani da abin da ke taimakawa wajen yin numfashi ko inhaler, a Turance kullum kamar yadda aka saba. Hakan zai taimaka wajen hana fuskantar yiwuwar katsewar numfashi, wanda kwayar cuta irin coronavirus ke haddasawa. Ya kamata mutum ya rika ajiye inhaler dinsa a kusa da shi kowacce rana, ko da zai ji alamun tashin asthma. Idan asthma ta ta'azzara kuma ka ga cewa ka fada hatsarin kamuwa da coronavirus, ka tuntubi hukumomin lafiya. Na manyanta, shin ya kamata na killace kaina? Shawarar da babban likitan gwamnati ya bayar ga kowa - ba tare da matsayin shekarunsa ba - ita ce ya daina musabaha ko matsawa kurkusa da wasu mutanen domin kauce wa kamuwa da coronavirus. Hakan na nufin mutum ya guji shiga tarukan jama'a. Hakan na da matukar muhimmanci musamman ga tsofaffin da suka wuce shekara 70 da kuma mutanen da ke fama da wasu cutukan saboda suna cikin kasadar kamuwa da cutar. Me zan yi idan ina fama da matsanaciyar rashin lafiya? Duk mutumin da ke cikin matukar kasadar kamuwa da kwayoyin cuta irin su mura da zazzabi ya kamata ya dauki matakan kare kansa daga cutukan. Mutane da suka nuna alamun kamuwa da cutar - wadanda suka soma tari ko mura - ya kamata ya zauna a gida. Idan alamomin cutar suka fito fili sosai kuma mutum bai samu sauki ba tsawon kwana bakwai, ya kamata ya tuntubi likita. Ina da ciwon suga, me ya kamata na yi? Mutanen da ke fama da nau'i na 1 da na 2 na ciwon suga suna da matukar kasadar kamuwa da coronavirus. Dan Howarth, shugaban cibiyar kula da masu ciwon suga ta Burtaniya, ya ce : \"Coronavirus ko Covid-19 tana iya ta'azzara ciwon suga. \"Idan kana da ciwon suga kuma ka ga alamomi irin su tari da zazzabi mai zafi da yankewar numfashi, akwai bukatar ka duba yanayin hawa da saukar suganka akai-akai.\" Idan ka ga irin wadannan alamomi ya kamata ka zauna a gida tsawon kwana bakwai, sannan ka ci gaba da shan magungunanka. Kada ka je asibiti ko wurin likita, ko da kuwa ka shirya ganin likita. Idan ba ka ga wata alama ta kamuwa da coronavirus ba kuma kana son ganawa da likitanka, ya kamata ka tuntube shi ta hanyar intanet ko wayar tarho maimakon ziyartarsa ido da ido. Shin ya kamata mata masu ciki su damu? Babu wata shaida da ke nuna cewa matan da ke da ciki (da jariransu) na fuskantar hatsarin kamuwa da coronavirus, amma gwamnati ta yi kira a gare su, su kara kula da lafiyar kansu. Kamar kowa, ya kamata su dauki matakan kariya domin gudun kamuwa da cutar. Suna cikin jerin mutanen da ake so su rage musabaha ko taba mutane, kamar yadda jami'an lafiya suka bayar da shawara. Jami'an lafiyar mata sun bayar da shawarwari kamar haka: Yaya zan kare kaina daga cutar? Ana yada cutar ne ta hanyar tari ko kuma idan mai dauke da ita ya taba wasu abubuwa irin su kofar da kowa ke tabawa da makamatansu. Kula da lafiyar jiki da ta muhalli za ta taimaka wurin hana kamuwa da cutar: Ku rika motsa jiki a cikin gida ko a lambunanku ba tare da kun fita waje ba. Shin muna iya yin amfani da takunkumin rufe fuska? Gidauniyar masu fama da ciwon huhu ta Birtaniya ta ce bata bayar da shawarar yin amfani da takunkumin rufe fuska ba \"domin babu wata shaida da ke nuna cewa yana da amfani. Kazalika mutanen da ke fama da ciwon huhu ka iya fuskantar matsala wurin numfashi idan suka sanya takunkumin.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55946222", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55944737", "doc1": "ইয়েমেনের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রথম ভাষণে বলেন, \"ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে।\" মি. বাইডেনের দুই জন পূর্বসূরির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি আরবের পরিচালিত অভিযানকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওই সংঘাত ইয়েমেনের লাখ লাখ নাগরিককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দুর্বল ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে এই সংঘাতের শুরু ২০১৪ সালে। এক বছর পর সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যখন সৌদি আরব ও আটটি আরব দেশের জোট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এতে সমর্থন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে অন্যান্য বিষয়ে পরিবর্তনের ঘোষণাও দেন মি. বাইডেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণের সিদ্ধান্তও। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? সমঝোতা সত্ত্বেও যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে ইয়েমেনের জন্য সংগ্রহ করা ত্রাণ কোথায় যায়? ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? ইয়েমেন সংক্রান্ত ঘোষণার অর্থ কী? হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মি. বাইডেনের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে সমর্থন দেয়া বন্ধ করবে। পাশাপাশি সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম, এমন যুদ্ধাস্ত্র বিক্রিও বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আরব উপদ্বীপ অঞ্চলে আল কায়েদার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হবে না। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর এরই মধ্যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেন। সেখানকার জনসংখ্যার ৮০ ভাগেরই সহায়তা বা সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় চলছে ইয়েমেনে প্রায় ছয় বছর আগে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ হলে ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ হবে না, তবে এই সিদ্ধান্ত রিয়াদ এবং আবুধাবির নেতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেবে। ইয়েমেনীদের পাশাপাশি পশ্চিমা কূটনীতিকরাও যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর একটি কারণ ছিল, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির কারণে সৃষ্ট সৌদি আরবের ক্ষোভ সামাল দেয়া। এখন ইয়েমেন এবং ইরানে নতুন মার্কিন দূতদের কাজ হবে ইয়েমেনের যুদ্ধ থামানো এবং যুদ্ধের একটি মূল কারণ আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ", "doc2": "Miliyoyin 'yan Yemen na bukatar abinci da magani da kuma muhalli bayan an shafe shekara shida ana yaki \"Tilas a kawo ƙarshen yaƙin Yemen,\" inji shugaban Amurka cikin wani jawabi na alƙiblar da gwamnatinsa za ta fuskanta a fagen dangantakar ta da ƙasashen waje. A karkashin shugabannin Amurka biyu na baya-bayan nan da ya gada, Amurka ta rika goya wa Saudiyya baya ne a yakin da ta ke yi da 'yan Houthi na Yemen. Wannan rikicin ya janyo wa miliyoyin 'yan kasar ta Yemen wahalhalu da matsananciyar yunwa. An dai fara yakin ne a 2014 tsakanin gwamnatin Yemen da kungiyar 'yan tawaye ta 'yan Houthi. Bayan shekara guda rikicin ya kara kazancewa bayan da Saudiyya da kawayenta - kasashen Larabawa takwas - da Amurka ke mara wa baya tare da Birtaniya da Faransa su ka fara kai wa 'yan Houthin hare-hare. Amma Mista Biden ya sanar da sauyin alkibla a dangantakar Amurka da sauran kasashen duniya, wanda ya hada da wannan matakin na kawo karshen yakin Kalaman Mista Biden sun yi hannun riga da na mutumin da ya gada - tsohon shugaba Donald Trump wanda ya sauka daga mukaminsa a watan jiya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55186563", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/media-55135425", "doc1": "ক্রেস্টিনা, অ্যাঞ্জেলিনা আর মারিয়া খাচাতুরিয়ান বাবাকে বারবার ছুরি ও হাতুড়ি মেরে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। তারা বলছে বাবার হাতে বছরের পর বছর যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হবার পর তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। তিন বোন আত্মরক্ষার তাগিদে এই পদক্ষেপ নিয়েছে নাকি এটা সুপরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে রাশিয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে। এই ঘটনার পর রাশিয়ায় পারিবারিক সহিংসতা কতবড় সমস্যা তা সামনে এসেছে।", "doc2": "Ku latsa hoton da ke sama don kallon bidiyon: An kama Krestina da Angelina da Maria Khachaturyan bayan da mahaifinsu ya mutu sakamakon raunukan da ya ji, bayan kai masa hari da wuƙa da guduma. Sun ce sun shafe shekaru mahaifinsu suna fuskantar cin zarafi a hannun mahaifinsu. Ra'ayi ya rarrabu inda wasu ke ganin yaran sun yi hakan ne a matsayin kare kai, wasu kuma na cewa kisan kai ne da gangan. Lamarin ya fito da yadda ake samun matsalar cin zarafi a gidaje a Rasha; a cewar ma'aikatar harkokin cikin gida inda ta ce kashi 40 cikin 100 na laifukan da ake yi ana yin su a cikin. Ƙarin bidiyo da za ku so ku kalla"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50666532", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50658552", "doc1": "ম্যুয়েলার প্রতিবেদনের পর থেকেই কোন কোন ডেমোক্র্যাট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি তুলতে শুরু করেছেন 'যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে' প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতাদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ইউক্রেনের কাছ থেকে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন'। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার লক্ষ্যে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে অন্যায় কোন কিছু করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তদন্তকে 'উইচ-হান্ট' বা কাউকে জোর করে দোষী বানানোর চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। এই খসড়া প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন এই তদন্তকে 'অত্যন্ত দেশপ্রেমহীন' বলেও আক্রমণ করেছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা 'অন্যায়ের কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে' এবং এই প্রতিবেদনে 'তাদের হতাশার কথা ছাড়া' আর কিছু নেই। প্রতিবেদনটি এখন কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে যাবে। বুধবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, মি. ট্রাম্পকে অপসারণ করার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে কিনা। আরো পড়ুন: ইমপিচমেন্ট কী, কেন ও কিভাবে করা হয়? ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করা কি সত্যি সম্ভব? মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ কে শুনতে পারে? প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে? ট্রাম্প-ইউক্রেন ইমপিচমেন্ট তদন্ত রিপোর্টটি মঙ্গলবার প্রকাশ করে হাউজ পার্মানেন্ট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্স। সেখানে বলা হয়েছে, তদন্তে 'বেরিয়ে এসেছে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পক্ষে বিদেশি সহায়তা পাওয়ার জন্য কয়েকমাস ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দপ্তরকে ব্যবহার করেছেন'। 'ইউক্রেনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পদে পুন-নির্বাচনের প্রচারণায় সহায়ক হতো, এমন দুইটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তদন্তের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করেছেন'। 'প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন যে, নতুন নির্বাচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদামির জেলেনস্কি প্রকাশে তার (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা করবেন। সেই সঙ্গে লজ্জাজনক একটি বার্তা দেয়া হবে যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া নয়, ইউক্রেন হস্তক্ষেপ করেছিল।' 'অসদাচরণের প্রমাণ অত্যন্ত 'প্রবল' এবং কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে এমন প্রমাণ মিলেছে,' বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বিবিসির উত্তর আমেরিকার সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুর্কারের বিশ্লেষণ লক্ষণীয় নতুন বিষয় যারা দুই সপ্তাহ আগে ইমপিচমেন্ট শুনানিতে অ্যাডাম স্কিফের র সমাপনী বক্তব্য শুনেছেন, তারা হয়তো এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ দেখে খুব একটা অবাক হবেন না। তবে তিনশো পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এটিএন্ডটি কমিটির তদন্তে রুডি জুলিয়ানির মোবাইল ফোন রেকর্ড সরবরাহ করেছে। এর মাধ্যমে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীর ব্যাপক যোগাযোগ ও তার সময় সম্পর্কে নতুন করে জানা যাচ্ছে। এ বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে রুডি জুলিয়ানি হোয়াইট হাউজের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে অনেকবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন, যাদের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা ও বাজেট বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন, যে সরকারি এজেন্সি ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসের বরাদ্দ করা সামরিক সহায়তা স্থগিত করার কাজটি করেছে। যতদিন পর্যন্ত এসব তথ্য জানা যায়নি, ততদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টে পক্ষের অনেকের মধ্যে একটি বিতর্ক চলছিল যে, জুলিয়ানি হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনা করছিলেন। বেশ কয়েকজন সাক্ষী, যাদের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সোন্ডল্যান্ড সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্টের কথা বলে জুলিয়ানি তাদের সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন যেন ইউক্রেনের ওপর চাপ দেয়া হয়, যাতে তারা তদন্ত শুরু করে, যা মি. ট্রাম্পের জন্য রাজনৈতিকভাবে সুবিধা এনে দেবে। এখন জুলিয়ানি এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হলো। পরবর্তীতে কী হতে যাচ্ছে? প্রতিবেদনটি অনুমোদন করা এবং কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে পাঠানো হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যে ভোটাভুটি হয়েছে, তাতে দলগতভাবেই ভোট পড়েছে, পক্ষে ১৩ আর বিপক্ষে ৯। চারজন সংবিধান বিশেষজ্ঞকে নিয়ে বিচার বিভাগীয় প্যানেলের শুনানি শুরু হবে, যারা ব্যাখ্যা করবেন যে, কীভাবে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া কাজ করবে। সেখানে 'সততার' অভাব রয়েছে দাবি করে ওই শুনানিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। অতীতে যেসব ইমপিচমেন্ট অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেখানেও ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারে বাধা দান এবং কংগ্রেসের অবমাননার মতো অভিযোগ ছিল। বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্ট ইস্যুতে ভোটাভুটি করতে চায় ডেমোক্র্যাটরা, যার ফলে সামনের জানুয়ারিতে সিনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। House Intelligence Committee Chairman Adam Schiff (left) and Speaker of the House Nancy Pelosi রিপাবলিকানরা কী বলছে? খসড়া প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগেই প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানরা তাদের নিজস্ব ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে 'অনির্বাচিত আমলা'দের নিন্দা জানানো হয়, যারা তদন্তে সাক্ষ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, তারা 'মৌলিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধরন, বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন'। ওই প্রতিবেদনে ডেমোক্র্যাটদের অভিযুক্ত করে বলা হয়, তারা 'আমেরিকান জনগণের ইচ্ছাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে' এবং দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে। 'ডেমোক্র্যাট কোন সাক্ষীই ঘুষ, চাঁদাবাজি ও অন্য কোন ধরণের অপকর্মের প্রমাণ দিতে পারেনি,' বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব অপরাধ কোন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ক্ষেত্রে সংবিধানে রয়েছে। তবে রিপাবলিকানদের এসব দাবি নাকচ করে দিয়ে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্কিফ বলেছেন, 'এটা (রিপাবলিকানদের প্রতিবেদন) শুধুমাত্র একজন দর্শকের জন্যই করা হয়েছে' যিনি হলেন মি. ট্রাম্প এবং তার বিরুদ্ধে আনা অসংখ্য অভিযোগ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। লন্ডনে নেটো জোটের সত্তরতম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় মি. ট্রাম্প অ্যাডাম স্কিফের নাম ধরে সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি হচ্ছেন একজন 'উন্মাদ', 'খুব অসুস্থ ব্যক্তি' এবং 'মানসিক বিকারগ্রস্ত একজন মানুষ'। অন্যায় কোন কিছু করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তদন্তকে 'উইচ-হান্ট' বা কাউকে জোর করে দোষী বানানোর চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কী? ডেমোক্র্যাটরা বলছে, ইউক্রেনকে তদন্তে বাধ্য করার জন্য দুইটি বিষয় ব্যবহার করেছেন মি. ট্রাম্প। একটি হলো ইউক্রেনের জন্য চারশো মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা, যার এর মধ্যেই কংগ্রেস অনুমোদন করেছে। আরেকটি হলো হোয়াইট হাউজে মি. জেলেনস্কির সঙ্গে একটি বৈঠক। তারা মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মিত্র দেশের ওপর এই রাজনৈতিক চাপ দেয়ার মানে হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করা। দুইটি তদন্তের মধ্যে প্রথমেই মি. ট্রাম্প চাইছিলেন যেন, ইউক্রেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টারের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। জো বাইডেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন হান্টার ইউক্রেনের একটি এনার্জি কোম্পানির বোর্ডে যোগ দেন। দ্বিতীয় যে তদন্ত চাইছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সেটি হলো, ইউক্রেন যেন একটি ষড়যন্ত্র থিওরিতেত সহায়তা করে, যার ফলে এটা বোঝানো হবে যে, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া নয়, বরং ইউক্রেন হস্তক্ষেপ করেছিল। ওই থিওরি আগেই বাতিল করে দেয়া হয়েছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সর্বসম্মতভাবে বলে আসছে যে, ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট পার্টির ইমেইল হ্যাকিংয়ের পেছনে মস্কো রয়েছে। ইমপিচমেন্ট কীভাবে হয়? যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্টকে তার দপ্তর থেকে সরাতে কংগ্রেসের রাজনৈতিক দুইটি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি হলো ইমপিচমেন্ট। শুনানির পরে প্রতিনিধি পরিষদে যদি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি পাস হয়, তাহলে সিনেট এ ব্যাপারে একটি বিচার কার্যক্রম গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। সিনেটে দোষী প্রমাণিত এবং প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দলই সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হয়েছিল। তাদের একজন হচ্ছেন বিল ক্লিনটন, আরেকজন অ্যান্ড্রু জনসন। তবে তাদের কেউই সিনেটে দোষী প্রমাণিত হননি বা ক্ষমতা থেকেও সরে যেতে হয়নি। ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন আরেকজন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।", "doc2": "Shugaban kasar ya fifita biyan bukatunsa na siyasa \"a kan muradun kasar Amurka, a cewar wani muhimmin rohoton da kwamitin ya gabatar wa majalisar dokokin kasar. Rahoton ya ce \"shugaban ya yi hakan ne ta hanyar \"neman katsalandan daga kasashen waje\" musamman Ukraine a kokarinsa na neman karin wa'adi a zaben shekarar 2020 mai kamawa. An shirya rahoton ne domin tabbatar da hujjojin da za su bayar da damar a tsige Trump. Sai dai shugaban ya musanta aikata zargin da ake masa na aikata ba dai-dai ba. Ya kuma bayyana binciken a matsayin bi-ta da kulli. Tun gabanin fitowar daftarin rahoton, shugaban dan jami'iyyar Republican ya soki lamirin binciken da 'yan Democrat ke jagoranta a matsayin \"tsananin rashin kishin kasa\". Bayan wallafa rahoton, Sakataren yada labaran fadar White House, Stephanie Grisham, ya ce 'yan jam'iyyar Democrat \"sun gaza wajen kafa hujjar samun Trump da laifi\", kuma rahoton nasu ba komai ba ne face \"alamar irin tashin hankalin da 'yan Democrat ke ciki\". Yanzu za a mika wa Kwamitin Shari'a na majalisar dokokin kasar, wanda a ranar Larabar nan zai fara mahawara a kan rahoton da kuma yiwuwar tsige Trump din saboda zargin. Me rahoton ya ce? A ranar Talata ne Kwamintin binciken sirri na Majalisar dokokin Amurka ya fitar da rahoton binciken tsige Trump saboda badakalar Ukraine. Kwamitin ya ce rahooton ya \"bankado kokarin da Shugaba Trump ya shafe watanni yana yi na yi wa tsaron kasarmu zagon kasa domin biyan bukatun wasu bincike biyu da ake gudanarwa domin cimma manufar siyasa, da za ta taimaka masa a yakin neman sake zabensa. \"Shugaban ya kuma bukaci zababben shugaban kasar Ukraine, Volodymyr Zelensky, ya sanar a bainar jama'a cewa suna gudanar da bincike a kan Joe Biden, wanda shi ne babban abokin hamayyan da Trump din ya fi shakka a zaben da ke tafe. Trump ya kuma nemi Zelensky da ya wofintar da maganganun da ake yi cewa Ukraine ce, ba Rasha ba ta yi katsalandan a zaben shugaban Amurka a 2016. Rahoton ya ce ya samu kwararron hujjoji fiye da kima cewa Trump ya saba ka'idar aikinsa kuma ya kawo wa majalisar kasar tarnaki. Sautin waya ya kara wasu hujjojin Duk wanda ya saurari Adam Schiff da irin jawabinsa na karshe makonni biyu da suka gabata a wajen sauraren bahasi kan batun tsige Shugaba Trump zai yi mamakin sakamakon binciken da aka gabatar a ranar Talata. Kundin mai shafi 300 na dauke da sabbin bayanai. Kamfanin sadarwa na AT&T ya bai wa kwamitin binciken abin da suka nada daga wayar tarhon Rudy Giuliani, sannan wannan ya sake bayyana lokacin da lauyan Shugaba Trump ya tattaunawa da Fadar White. Binciken wayar tarhon an fara shi daga watan Afirilun shekarar nan, inda lauya Giuliani ya kira wasu jerin lambobin tarho na fadar White House, musamman ofishin kasafin kudi, da ofishin da ke kula da tallafin sojin Amurka ga Ukraine. Bayyanar wadannan sabbin bayanan da ba a san da su ba, sun nuna yadda lauyan Shugaba Trump ke aiki gaba gadi tare da manyan jami'an gwamnati. Shaidu kamar tsohuwar jakadar Amurka a Tarayyar Turai Gordan Sondland, ta ba da shaidar yadda Mista Giuliani ke ba su umarni kai tsaye kuma daga shugaban kasa, kan su matsa wa jami'an Ukraine lambar fara binciken da zai bai wa Shugaba Trump fifiko ta fuskar siyasa. Me zai faru? Kwamitin na binciken sirrin ya kada kuri'a a ranar Talata, inda mutum 13 suka amince a tabbatar da rahoton bincken tare da mika shi ga kwamitin shari'a na majalisar wakilan Amurka, yayin da tara ba su amince ba. Kwamitin binciken shari'ar zai yi zama na musamman tare da kwararrun da za su yi bayani dalla-dalla kan tsarin da ake bi wajen tsige shugaba. Fadar White ta ki yarda a yi zaman da ita, wanda ta ce babu adalci sam a ciki. Wasu daga abubuwan da za a duba kan batun tsigewar shi ne amfani da karfin iko ba bisa ka'ida ba, da hana shari'a aikinta ta hanyar amfani da majalisa. 'Yan jam'iyyar Democrat dai suna son kada kuri'a kan batun tsigewar a majalisar wakilai kafin karshen shekarar nan, yayin da ake ganin majalisar dokoki ka iya yin hakan a watan Junairun badi. Me 'yan Republican ke cewa? Kafin a bayyana sakamakon binciken a bainar jama'a, jam'iyyar Republican ta wallafa nata rahoton mai shafi 123, wanda ya yi Allah-wadai kan shaidar da wani ya ba da na cewa bai amince da tsarin Shugaba Trump kan yadda yake kallon duniya. Haka kuma rahoton ya zargi jam'iyyar Democrat da kokarin kaucewa muradun Amurkawa, tare da zargin tun ranar da shugaban ya kama aiki suke kokarin tsige shi daga mukaminsa. \"Duk cikin shaidun da Democrat ta gayyato babu wanda ya ba da shaidar ba da rashawa, ko wawure dukiya ko wani babban laifi,'' haka kuma duk cikin abubuwan da ake magana akai babu inda ya aminta a tsige shugaba matukar ba a same shi da laifi ba. Tuni Adam Schiff ya yi watsi da rahoton na Republican, inda ya ce suna kokarin kaucewa shaidun da aka samu ne da gangan. A bangare guda Shugaba Trump ya caccaki Mista Schiff a wajen taron bikin cika shekara 70 da kafuwar kungiyar kawancen tsaro ta Nato da ake yi a birnin Landan, inda ya kira shi \"mutumin da bai san abin da yake yi ba.\" Me ake zargin Trump da aikatawa? 'Yan jam'iyyar Republican sun ce shugaban ya kwadaitawa Ukraine abubuwa guda biyu, na farko tallafin soji da ya kai dala miliyan 400, wanda tuni majalisar Amurka ta ware. Sai kuma ganawa da Mista Zalensky a fadar White House don ya sa a gudanar da binciken. 'Yan majalisar sun kara da cewa wannan matsin lamba da shugaban ya sanyawa daya daga cikin aminan Amurka masu rauni ya saba wa doka. Binciken farko da Mista Trump yake son Ukraine ta yi kan Mista Biden ne babban abokin hamayyarsa na jam'iyyar Democrat, da dansa Hunter, wanda yake cikin shugabannin kamfanin makamashi na Ukraine a lokacin da mahaifinsa yake mataimakin shugaban kasa. Abu na biyu da Shugaba Trump ya bukata shi ne Ukraine ta shirya wata makarkashiya kan cewa Rasha ba ta yi kutse a zaben shugaban Amurka ba, wanda hukumomin leken asiri na Amurka da suka bukaci a sakaya sunansu suka ce alamu sun nuna karara Rasha ta yi kutse a sakonnin email na jam'iyyar Democrat a shekarar 2016. Yaya ake tsige shugaba a Amurka? Tsigewar ita ce bangare na farko - sai tuhume-tuhume - inda 'yan majalisar dokoki za su iya tsige shugaba daga mukaminsa. Daga nan, bayan sauraron batun majalisar wakilai za ta ka da kuri'ar tsige shi, hakan zai tilasta wa majalisar dattawa ta yi zama kan batun. Ana bukatar rinjaye kaso biyu-bisa uku kafin a samu shugaban da laifi kuma a tsige shi - amma hakan na da wuya ya faru a wannan karo saboda yadda jam'iyyar Shugaba Trump take da rinjaye a majalisar dattawa. Shugabannin Amurka biyu ne kawai aka taba tsigewa (Bill Clinton da kuma Andrew Johnson) a tarihin Amurka, amma babu wanda aka samu da laifi a karshe. Shugaba Richard Nixon ya yi murabus ne kafin a kai ga tsige shi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news/2012/04/120425_mrk_malaria", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/39767860", "doc1": "ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুসারে, বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ায় মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। তবে সংস্থাটি বলছে, দেশটিতে এখনও প্রতিবছর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই আক্রান্তদের ৮০ ভাগেরও বেশি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া বিশেষজ্ঞ আব্দুল মান্নান বাঙালি বলছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জলবায়ু, সেখানকার জঙ্গল এবং পাহাড়ি ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ম্যালেরিয়ার মশা বিস্তারের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাই এই এলাকাতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবও বেশি।‘ তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার পাশেই ভারতের সীমান্ত এলাকাতেও এই একই ধরনের প্রবণতা রয়েছে। সেকারণে ম্যালেরিয়ার মশার বিস্তার ঠেকানো বেশ কঠিন।‘ এছাড়াও জঙ্গল ও পাহাড়ি হওয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু এলাকা অত্যন্ত দুর্গম যেখানে ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধে কার্যক্রম চালানো খুব কঠিন। ম্যালেরিয়ার জন্যে দায়ী মশা তবে সরকারি হিসেব মতে, প্রতিবছরই বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। সেই সাথে কমছে মৃতের সংখ্যাও। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সিভিল সার্জন মং তেঝ বিবিসি বাংলাকে বলেন, মশা-নাশক কীটনাশক মিশ্রিত এক ধরনের মশারি ঐসব এলাকাতে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই মশারীর ব্যাবহার বৃদ্ধির ফলেই মৃতের সংখ্যাও কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।", "doc2": "Ma'aikata a duk fadin duniya na gudanar da bikin ranar ma'aikata An zabi ranar daya ga kowanne watan Mayu domin bikin zagayowar wannan rana saboda tunawa da kisan wasu ma'aikata hudu da 'yan sanda suka yi a birnin Chigaco na Amurka a shekarar 1886, yayin wani yajin aiki. A irin wannan rana ce ma'aikata ke la'akari da irin gudunmuwar da suke bayar wa wajen ci gaban tattalin arzikin kasashensu. Kamar sauran kasashen duniya, Najeriya ma na daga cikin kasashen da ke gudanar da wannan biki na ranar ma'aikata. Comrade Ayuba Wabba, shi ne shugaban kungiyar kwadago ta Najeriya wato NLC, ya shaidawa BBC cewa, suna tuna wannan rana ce da taken, gudunmuwar da ma'aikata ke bayarwa wajen ci gaban kasa, musamman a irin yanayin da kasar ke ciki a yanzu. Comrade Wabba, ya ce ma'aikata su ne suka fi kowa shan wahala a irin yanayin da Najeriya ke ciki a yanzu. Saboda a cewarsa, akwai jihohi kusan goma sha daya da basa biyan albashi da biyan 'yan fansho hakkokinsu. Shugaban kungiyar ta kwadago, ya ce za a gudanar da irin wannan biki a dukkanin jihohin Najeriya ban da jihar Kogi kadai. Comrade Wabba, ya ci gaba da cewa, a wannan rana sun gayyato shugaban kasa da kuma 'yan majalisu, in da za a gudanar da jawabai. Sannan kuma ya ce abin da ma'aikata ke so a yanzu shi ne, kasancewar cin hanci da rashawa ya yi wa kasar katutu, to yanzu duk wanda zai bayar da bayani a kan kamo wani wanda ya saci kudin gwamnati, to ya kamata a samar da dokar da zata bashi kariya. Kuma idan har an samu mutum da laifin satar kudin gwamnatin, to ya kamata a cikin lokaci kankani a hukunta shi. Daga bisani, ya yi tsokaci a kan jihohin da ba sa biyan albashi, inda ya ce duk jihohin da ba sa biyan albashi to ba mamaki ko sun ciwo bashin da ya fi karfinsu, ko kuma sun yi kwangiloli na bogi domin a yi almubazzaranci da kudaden jama'a."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50051615", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50051536", "doc1": "আইন ইসা শহরের প্রবেশ করেছে সিরিয় সরকারি বাহিনী এর বাইরে দ্রুত একটি যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা সফরে যাবেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরিয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়ত দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী। কী বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়? ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, \"তুরস্কের সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ঐ অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে।\" যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে। এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যপারে একমত হয়েছেন। জবাবে তুরস্ক বলেছে, 'বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক' আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করবে দেশটি। সিরিয়ায় কী হচ্ছে? সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে পৌঁছে গেছে। মানবিজ শহরের যে এলাকায় তুর্কীরা নিজেদের জন্য সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চায় সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরিয় বাহিনী। তুর্কি বাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরিয় মিলিশিয়া বাহিনী শহরের কাছে জড়ো হয়েছে। এদিকে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে চুক্তিটিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য একটি অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা ২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম তার সৈন্যরা ওই এলাকাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে এক হাজার মার্কিন সৈন্য যুক্তরাষ্ট্র সরিয়ে নেবার ঘোষণা দেবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাহিনী মোতায়েন করা হলো। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি যে নয়টি খাতে পিছিয়েছে বিজেপিকে মুচলেকা দিয়েই কি বোর্ড সভাপতি সৌরভ? কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ভাল লেখক হওয়ার জন্য মানতে হবে যে সাতটি টিপস ৫০ বছরে যত্নে গড়া লাইব্রেরি যখন বোঝা", "doc2": "Shugaba Donald Trump ya kuma kira takwaransa na Turkiyya Recep Tayyip Erdogan inda ya nemi a tsagaita wuta ba da bata lokaci ba. Sojojin Syria dai sun isa wasu yankuna da ke arewa maso gabashin kasar, kuma wannan na iya haifar da wani fito-na-fito tsakanin dakarun gwamnatin Syria da na Turkiyya. Shiga sojojin Syria wannan yankin ya biyo bayan wata yarjejeniya da aka kulla ne tsakanin dakarun Kurdawa da na Syrian bayan da Amurka ta juwa wa Kurdawan baya. Turkiyya ta ce tana kai wadannan hare-haren ne saboda ta mayar da 'yan Syria kusan miliyan biyu can bayan ta samar da abin da ta kira \"yankin tsaro\", wanda zai kai fadin kilomita 30 cikin Syria daga kan iyakarta. A halin yanzu akwai miliyoyin 'yan Syria da ke gudun hijira a Turkiyya. Amma yawancin 'yan gudun hijiran ba Kurdawa ba ne, kuma wasu na ganin wannan matakin na Turkiyya na iya haifar da wata matsalar - wato Kurdawan na iya rasa muhallansu da garuruwansu gaba daya. Kurdawa na maraba da dakarun gwamnatin Syria a garin Tal Tamer"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51018868", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/51028081", "doc1": "সোলেইমানির দাফনে তার নিজ শহর কেরমানে সমবেত হয়েছেন বহু মানুষ এছাড়া ঐ ঘটনায় কেরমানে আরো ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে কাসেম সোলেইমানির দাফনে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার নিজ শহর কেরমানে শোকের প্রতীক কালো কাপড় পড়া কয়েক লক্ষ মানুষ মানুষ জড়ো হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। দক্ষিণ পূর্বের শহর কেরমানে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোলেইমানিকে দাফন করা হচ্ছে। এর আগে তেহরানে তার জানাজায় লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল। ইতিমধ্যে এই হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেবার এবং রোববার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বাড়ানোর জন্য কাজের পেছনের প্রধান মানুষ ছিলেন। নিজ শহর কেরমানে সোলেইমানিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয় এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমবেতদের অনেকেই সোলেইমানির ছবি এবং ছবি সম্বলিত পোশাক পড়ে আসেন সবাই ভালো চোখে দেখে না সোলেইমানিকে কিন্তু ইরানের সব মানুষ একইভাবে সোলেইমানিকে ইতিবাচকভাবে দেখে না। তিনি কট্টরপন্থী ছিলেন এবং ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পেছনের মূল শক্তি হিসেবে দেখা হয় তাকে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি ব্রাউন জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানে যখন দারিদ্র্য বেড়ে যায়, সেসময় মি. সোলেইমানি লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় বিভিন্ন জোট গঠন এবং মিলিশিয়া বাহিনী তৈরির পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছিলেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেন, লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী হেজবোল্লাকে সাহায্য করেন এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিপক্ষে দেশটির মিলিশিয়া বাহিনীর পরিচালনায় সহায়তা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে সন্ত্রাসী মনে করতো, এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর 'আসন্ন' হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তেহরানে কিভাবে শোক পালন হচ্ছে? ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, সোমবার তেহরানে সোলেইমানির জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে। বলা হয়েছে, 'দশ লক্ষের' বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে, যদিও এ সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর নিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং তাদের 'আমেরিকার মৃত্যু হোক' বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি জানাজা পরিচালনা করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। জানাজার পর, সোলেইমানির মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কেরমানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার আগে সেখানে আরেকটি জনসমাগম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা যেভাবে বাড়ছে ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে যাবার জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছিল জাভাদ জারিভ সোলেইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেবেন। কিন্তু ভিসা প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৪ সালে হওয়া এক চুক্তি লঙ্ঘন করছে, যেখানে বলা হয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যেকোন বিদেশী কর্মকর্তা যোগ দিতে পারবেন। এর আগে রোববার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা আর মেনে চলবে না। ওই চুক্তি ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে অনেকটাই কমাতে সক্ষম হয়েছিল, বিনিময়ে তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত ছিল। এই চুক্তির তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইরানের হুঁশিয়ারির জবাবে মি. ট্রাম্প বলেছেন সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাবে, আর তা 'হয়তো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না'। তিনি ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা চালানোর হুমকি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তেহরান যদি মার্কিন নাগরিক বা সম্পদে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও 'দ্রুত ও কঠোর' হামলা চালাবে।", "doc2": "Rahotanni sun bayyana cewa kusan mutum 200 ne suka jikkata. An rufe marigayin ne a birnin Kerman, inda aka yi kiyasin miliyoyin mutane sun taru a wurin jana'izarsa. Kashe shi da aka yi ya janyo fargabar yaki tsakanin Amurka da Iran. Kafin rasuwarsa, ana ganin cewa shi ne na biyu a wurin karfin iko a kasar Iran bayan Jagoran Addinin kasar Ayatollah Ali Khamenei. Amurka dai na kallon Soleimani a matsayin ''dan ta'adda'' kuma barazana ga sojojin Amurka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47824736", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56481648", "doc1": "জীবনের তাগিদে অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে শিশুদের জলবায়ু পরিবর্তন শিশুদের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেই বিষয়ে এই প্রথম কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, \"জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের সবচাইতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা তাদের শিশুদের পর্যাপ্ত খেতে দিতে পারছে না, তাদের সুস্থ রাখতে পারছে না। তাদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।\" প্রতিবেদনটি বলছে, খরা বা সাইক্লোনের মতো মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির অর্থ হল এতে আক্রান্ত পরিবারগুলো আরও বেশি দরিদ্র হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত পরিবারগুলো যখন ঘরবাড়ি হারাচ্ছে, তখন সেই পরিবারের শিশুরা অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থ উপার্জনের জন্য কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। এর ফলে শিশুদের নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলছে, দায়িত্ব নিতে না পেরে মেয়ে শিশুদের অনেক পরিবার দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে বিশটি জেলার শিশুরা সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত অনেক পরিবার নিজের এলাকায় সর্বস্ব হারিয়ে এক পর্যায়ে কাজের খোঁজে শহরে চলে আসছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে ঠেকানোর মোবাইল অ্যাপ এলো বাংলাদেশে সেই সব পরিবারের শিশুদের জন্য পাচার এমনকি যৌন পেশায় বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। সবচাইতে ঝুঁকিতে রয়েছে এক কোটি ২০ লক্ষ শিশু। বাড়ছে মেয়ে শিশুদের বাল্যবিয়ে যাদের বসবাস বাংলাদেশে নদীপথগুলোর পাশে, তাদের ক্ষেত্রে নদী ভাঙন একটি নিয়মিত ব্যাপার। নিয়মিত সাইক্লোনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৪৫ লক্ষের মতো শিশু, যারা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের মধ্যে রয়েছে বহু রোহিঙ্গা শিশু। এসব রোহিঙ্গা শিশু খুব দুর্বল আবাসন ব্যবস্থায় বসবাস করছে। খরা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৩০ লক্ষের মতো। হেনরিয়েটা ফোর বলছেন, \"জলবায়ু পরিবর্তন বহু শিশুর বাল্যকাল কেড়ে নিচ্ছে।\" জীবনের তাগিদে তাদের অনেক দ্রুত বড় হয়ে উঠতে হচ্ছে এবং নিজের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বলে বলছে ইউনিসেফ। অন্যান্য খবর: নাচতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করা হলো বিমানটি পড়ে যাওয়া থামাতে পারেননি পাইলটরা ভোট নিয়ে ভারতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন?", "doc2": "Rashin ruwan wanke hannu domin kariya daga cutuka na daga cikin matsalolin da UNICEF ta bayyana Wani sabon rahoto da asusun ya fitar ya ce cikin wadannan mutane akwai yara miliyan 450 da ke fuskantar karancin ruwan yin mu'amalar yau da kullum. Wannan na zuwa ne a daidai lokacin da ake bikin ranar Ruwa Ta Duniya da Majalisar Dinkin Duniya ta ware a kowacce shekara saboda hakan. Najeriya na daga cikin kasashe 80 da rahoton UNICEF ya ambato fiye da yara miliyan ashirin da shida ne ke fama da karancin ruwan shan, wato kashi 29 cikin dari na yaran da ke kasar. Wannan karancin ruwan sha na jefa ba yara kadai cikin hadarin harbuwa da cututtuka da kuma kuncin rayuwa ba har da manya. Rashin ruwa mai tsafta na haddasa cututtuka kamar amai da gudawa, da ciwon ciki, da kuraje da sauransu. Ko wadanne hanyoyi ya kamata a bi domin tsaftace ruwan sha domin kauce wa kamuwa da cutuka? Dakta Salihu Ibrahim Kwaifa, kwararren likita ne a Abujar Najeriya, ya zayyano hanyoyi biyar da za a tsaftace ruwan sha domin kauce wa kamuwa da cutuka. 1 Wajen da aka debo ruwan: Ya kamata wurin da ake debo ruwan - rijiya ko famfo - ya kasance mai tsafta. A tabbatar ruwan da yake fitowa daga wadannan wurare mai tsafta ne bai sauya launi ko dandano ko kamshi ba. 2. Dafawa: Domin kauce wa kamuwa daga cututtukan da ake samu a ruwan da ake amfani da shi a bukatun yau da kullum, yana da muhimmanci a tafasa ruwan ta yadda dukkan kwayoyin cutar da yake dauke da su za su mutu - ya zamo mai tsaftar da za a iya sha. 3. Tacewa: Tace ruwan da aka dafa bayan ya huce yana da muhimmanci, ana iya tacewa da wani kyalle mai tsafta ko abin tace ruwa na zamani da ake kira water filter, sannan ba lalllai sai ruwan da aka dafa ake iya tacewa ba. Abu mai muhimmanci shi ne tace ruwan tana kwashe dattin da ruwan ke dauke da shi. 4. Adanawa: Adana ruwa cikin mazubi mai kyau da tsafta yana hana cututtuka shiga ruwan. Ko dai tulu, ko kwarya, ko bokitin da ba a shiga bandaki da shi, ko jarkar da ake zuba shi. A kuma tabbatar mazubin yana da murfin da za a rufe ruwan da shi saboda gudun shigar datti ko wani abin cutarwa. 5. Tsaftar hannu: Ya kasance muna yawan wanke hannunmu da sabulu domin tabbatar da tsaftarmu kafin taba ruwan da aka tsaftace daga cututtuka. Saboda idan hannu akwai datti a jikinsa aka kuma yi amfani da shi ko kama moda ko abin diban ruwan aka sanya ciki zai janyo cutuka shiga ruwan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53495677", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53495066", "doc1": "সম্প্রতি কিশোরীর এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছ তালেবান জঙ্গিদের হামলায় ঐ কিশোরীর অভিভাবকরা মারা যাওয়ার পর অস্ত্র হাতে একাই প্রতিরোধ করে তালেবানদের পিছু হটতে বাধ্য করেন তিনি। ঘোর প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালেবানদের হামলার জবাবে পরিবারের একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে ঐ কিশোরীর পাল্টা আক্রমণে দুইজন তালেবান সেনা মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, তালেবানরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল কারণ ঐ কিশোরীর বাবা সরকার সমর্থক ছিলেন। ঘোর প্রদেশের সরকারি একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ আরেফ আবেরের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে যে তালেবান জঙ্গিদের দলটি ১৭ই জুলাই রাত একটার দিকে ঐ কিশোরীর বাসায় উপস্থিত হয়। জঙ্গিদের গুলিতে কিশোরীর মা ও বাবা মারা যাওয়ার পর ঘরের ভেতর থেকে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করে ঐ কিশোরী। ঐ ঘটনার পর অস্ত্র হাতে ঐ কিশোরীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক দফা পিছু হটার পর তালেবানরা ঐ কিশোরীর বাড়িতে আবার হামলা চালানোর চেষ্টা চালালেও গ্রামবাসী ও সরকার সমর্থিত সেনাদের বাধার মুখে পিছু হটে। কর্মকর্তারা বলছেন কিশোরীর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাকে এবং তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে অনুন্নত প্রদেশ ঘোর এবং সেখানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। আরো পড়তে পারেন: 'ডাক্তারকে নাম বলায় পেটালেন স্বামী' - যে দেশে মেয়েদের নাম প্রকাশ নিষেধ আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী আফগান যে নারীকে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে আফগান নারীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? 'প্রত্যেক পুরুষ আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়'", "doc2": "Hoton matashiyar ya bazu a shafukan sada zumunta a 'yan kwanakin nan Yarinyar ta yi amfani da bindigar gidansu ƙirar AK-47 wajen harbe mutanen tare da raunata wasu da dama, a cewar jami'ai a Lardin Ghor. Jami'an sun ƙara da cewa 'yan Taliban ɗin sun je gidan saboda mahaifin yarinyar yana goyon bayan gwamnati. Wani hoton yarinyar riƙe da bindiga dai ya karaɗe shafukan sada zumunta a 'yan kwanakin nan. Daga baya kuma ƙarin mayaƙa sun sake dirar mikiya a gida da ke ƙauyen Griwa amma kuma al'ummar yankin da mayaka masu samun goyon bayan gwamnati suka fatattake su. Jami'ai sun ce tuni aka kai matashiyar da shekarunta ba su wuce tsakanin 14 da 16 ba da ƙaninta wani waje domin kare su. Ma'abota shafukan sada zumunta dai sun jinjinawa matashiyar. \"Mun jinjina mata saboda bajintar da ta yi\", kamar yadda kamfanin dillancin labarai na AFP ya rawaito Najiba Rahmi na faɗa a shafin Facebook. \"Mun san ba zai yiwu a maye gurbin iyaye ba amma martanin da kika yi zai sa ki samu ɗan kwanciyar hankali,\" a cewar Mohamed Saleh shi ma a Facebook. A cewar kafafen yaɗa labaran ƙasar, Ghor ɗaya ne daga cikin Lardunan yammacin Afghanistan da ya fi fama da rashin ci gaba sannan a lokuta da dama mata a yankin na fuskantar cin zarafi. Ƙungiyar Taliban ta rattaba hannu kan wata yarjejeniyar zaman lafiya da Amurka a Fabrairu amma da dama daga mambobinta sun ci gaba da neman a hamɓarar da gwamnatin Afghanistan mai ci da kuma soke kundin tsarin mulkinta."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54067746", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50891121", "doc1": "জামাল খাসোগজি: নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ২০১৮ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট আটজনকে বিভিন্ন দেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছিল। তবে কৌঁসুলিরা বলছেন, সাংবাদিক খাসোগজির পরিবার তাদের ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে জামাল খাসোগজির বান্ধবী এই সাজাকে 'বিচারের নামে তামাশা' বলে বর্ণনা করেছেন। সৌদি সরকারের একজন সমালোচক জামাল খাসোগজিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে হত্যা করে একদল সৌদি এজেন্ট। সৌদি আরবের সরকার বলেছে, একটি 'বেপরোয়া অভিযানে' ওই সাংবাদিক খুন হন। পরের বছর ১১ জন ব্যক্তিকে বিচারের জন্য অভিযুক্ত করে সৌদি কৌঁসুলিরা, যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে সেই বিচার প্রক্রিয়াকে সেই সময় 'ন্যায়বিচার বিরোধী' বর্ণনা করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ার অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। তিনি বলেছিলেন, খাসোগজিকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সুপরিকল্পিত খুন' , যার জন্য সৌদি আরব রাষ্ট্র দায়ী। মিজ ক্যালামার্ড বলেছিলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দায়ী, যাদের মধ্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও রয়েছেন। তবে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নাকচ করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাসোগজি হত্যার অভিযোগে অনুপস্থিতিতেই যুবরাজের সাবেক দুই সহকারীকে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুরস্কে আরও ১৮ জনের বিচার চলছে। আরো পড়ুন: 'জামাল খাসোগজিকে খুন করে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে' সৌদি আরবের সাথে কী 'চাল' চালছে তুরস্ক? খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই তুরস্কে খাসোগজি হত্যার বিচার শুরু জামাল খাসোগজিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল যেভাবে জামাল খাসোগজি নিহত হন ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাসোগজি ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। তাকে ২০১৮ সালের দোসরা অক্টোবর সর্বশেষ তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেয়া যায়। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তার তুর্কী বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে। বলা হয়, সেখানে মিস্টার খাসোগজিকে হত্যার সময়ের কথাবার্তা গোপনে রেকর্ড করেছিল তুর্কী গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রেকর্ডিং শুনে জাতিসংঘ কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ড মন্তব্য করেছিলেন, মিস্টার খাসোগজিকে সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তবে সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। সৌদি আরবের ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান শালান গত বছরের নভেম্বরে বলেছিলেন, এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল জামাল খাসোগজির সঙ্গে আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে পাঠানো একটি দলের নেতার কাছ থেকে। এই দলটিকে সেখানে পাঠান সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান। মিস্টার খাসোগজিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বা দরকার হলে জোর করে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছিল এই দলটিকে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন আমীর ঘোষণার খবর, সত্যতা নিয়ে সংশয় চীনের সাথে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কতটুকু ভারতের মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী ? ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে নিয়ে কেন এতো মাতামাতি? খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ, অক্টোবর ৮, ২০১৮ তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, কনস্যুলেটের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর মিস্টার খাসোগজির শরীরে ইনজেকশন দিয়ে বেশি মাত্রায় ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়, এর ফলেই তিনি মারা যান। এরপর তার শরীর খণ্ড-বিখন্ড করে স্থানীয় এক 'দালালের' হাতে তুলে দেয়া হয়। এখনো পর্যন্ত জামাল খাসোগজির দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তুরস্কের কৌঁসুলিরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কনস্যুলেটে প্রবেশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জামাল খাসোগজিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং তার দেহ ধ্বংস করে ফেলা হয়। সৌদি আরবে এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত জানুয়ারিতে এই ঘটনায় রিয়াদের এক ফৌজদারি আদালতে ১১ ব্যক্তির বিচার শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এদের মধ্যে হত্যা করা এবং হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। 'হত্যার তথ্য গোপন এবং আইন ভঙ্গের অভিযোগে' অন্যদের ২৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনজন ব্যক্তির দোষ প্রমাণিত হয়নি, যাদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-প্রধান আহমেদ আসিরি। যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগী সাউদ আল-কাহতানির বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়, কিন্তু তার অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জাতিসংঘ বলছে, খাসোগজি হত্যায় তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা তদন্তের পেছনে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সাজা কেন পরিবর্তন করা হলো? গত মে মাসে, জামাল খাসোগজির ছেলে সালাহ মোহাম্মদ ঘোষণা করেন যে, তার পিতাকে যারা হত্যা করেছেন, তাদের তিনি তিনি এবং তার ভাই ক্ষমা করে দিয়েছেন। তারা মেনে নিয়েছেন যে, ওই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। সোমবার সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, রিয়াদের আদালত মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে ২০ বছর ক রে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে ১০ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে এই সাজাই চূড়ান্ত। এর মাধ্যমে সৌদি আরবে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমও শেষ হলো। তবে জামাল খাসোগজির বান্ধবী হেতিস চেঙ্গিস একটি বিবৃতিতে বলছেন, সৌদি আরবে যে রায় দেয়া হলো, সেটার মাধ্যমে আবারো বিচার নিয়ে তামাশা করা হলো। মিজ ক্যালামার্ড বলেছেন, সাজা হলেও যা ঘটেছে, তা মুছে যাবে না। ''বিচারের নামে প্রহসনের আরেকটি ঘটনার আয়োজন করেছে সৌদি কৌঁসুলিরা। কিন্তু এই সাজার কোন আইনি বা নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। এমন একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এটা হয়েছে, যা ন্যায্য বা স্বচ্ছ নয়।'' তিনি একটি টুইটে বলেছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আবারো আহবান জানিয়েছেন মিজ ক্যালামার্ড।", "doc2": "An kashe Jamal Khashoggi a ofishin jakadancin Saudiyya da ke Turkiyya tun a shekarar 2018 Khashoggi, wanda aka kashe a bara, ya shahara wajen caccakar gwamnatin Saudiyya kuma wasu jam'ian gwamnatin Saudiyyar ne suka kashe shi a offishin jakadancin kasar da ke birnin Santambul na Turkiyya. Mai shigar da kara na gwamnatin Saudiyya ya bayyana cewa jami'an sun dauki wannan mataki na kashe Khashoggi ba tare da sanin gwamnatin Saudiyya ba, wanda hakan ya ja aka shigar da mutum 11 kara. Wata kwararriya ta Majalisar Dinkin Duniya ta shaida cewa kisan Khashoggi kisa ne wadda aka yi ba bisa ka'ida ba. Agnes Callamard a kwanakin baya ta yi kira da a binciki yariman Saudiyya Mohammed bin Salman kan kisan Jamal Khashoggi. Sai dai Yarima Salman ya musanta zargin da ake yi masa amma a watan Oktoban da ya gataba ya ce ya dauki laifi kan kisan dan jaridar a matsayinsa na babba kuma jagora a Saudiyya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40761686", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/40678522", "doc1": "জেনারেল জন কেলি (বাঁয়ে) এবং রায়ান্স প্রিবাস। ফলে মোট ছ'মাসের মাথায় অপসারিত হলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা রায়ান্স প্রিবাস। নতুন কমিউনিকেশন ডিরেক্টর অ্যান্থনি স্কারামুচির নিয়োগের পর থেকেই চাপে ছিলেন মি. প্রিবাস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গণমাধ্যমের কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করছেন। এরকম অভিযোগ নিয়ে একটি টুইটও করেছেন মি. স্কারামুচি, যদিও অনতিবিলম্বে তা মুছে ফেলেন তিনি। আর এরকম প্রেক্ষাপটেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এলো এই পরিবর্তনের ঘোষণা। নতুন চিফ অব স্টাফ হচ্ছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডিরেক্টর জেনারেল জন কেলি। তার নামটিও টুইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুক্রবার বিকেলে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের কথা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অবশ্য মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে খবর দেয়া হচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন মি. প্রিবাস। নতুন চিফ অব স্টাফ জন কেলি মেরিন কর্প থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন চার তারকা জেনারেল। বর্তমানে তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্বে আছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বর্ণনায় তিনি একজন 'গ্রেট আমেরিকান' এবং 'সত্যিকারের তারকা'। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জানাচ্ছেন, আগামী সোমবার থেকে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জেনারেল কেলি। ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে সর্বশেষ যোগসূত্র ছিলেন রায়ান্স প্রিবাস। তাকে অপসারণের পর এখন ট্রাম্প প্রশাসনে তার অনুগতরা ছাড়া আর কেউ রইল না।", "doc2": "Tun bayan zaben da aka gudanar, ake cece-kuce kan yiwuwar Rasha ta yi kutse a zaben na Amurka da ya bai wa Mista Trump damar zama shugaban kasa Mark Corallo dai ya dade yana magana da yawun lauyoyi masu kare shugaban na Amurka a binciken da ake yi kan alakar Mista Trump da kasar Rasha. Rahotanni sun ce lauyoyin suna sanya ido kan mutanen da ke jagorancin binciken alakar Mista Trump da Rashar. Jaridar New York Times ta ce lauyoyin na Mista Trump suna kokarin gano miki a tattare da masu binciken da manufar kunyata su, to sai dai shi Mista Corallo bai amince da daukar irin wannan matakin ba. Binciken, wanda Mai Bincike na Musamman Robert Mueller ya ke jagoranta, ya fadada tare da samar da karin bayanai a 'yan makwannin da suka wuce. An kara samun cigaba a aikin da Mista Mueller ke jagoranta, don a halin da ake ci an kara samun wani bayanin kan cewa akwai hannun masu kula da shige da ficen kudaden Shugaba Trump da su ma ake bincikarsu. Kawo yanzu Mark Corallo bai sanar da dalilin yin murabus din ba, sai dai masu sharhi sun yi hasashen ta yiwu lamarin na da nasaba da dambarwar kutsen na Rasha."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44466636", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-44430918", "doc1": "উত্তর কোরিয়ার একটি সমুদ্র সৈকতের ছবি। তাদের মধ্যে হওয়া করমর্দন থেকে শুরু করে তাদের যৌথ সমঝোতায় স্বাক্ষর - সবকিছু থেকেই বিশ্লেষকরা দেখার চেষ্টার করছেন এই আলোচনায় আসলে কতোটা কী অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও বা এই সমঝোতার তাৎপর্য কী? কিন্তু সেদিনের কিছু বিষয় ও ঘটনা ছিল, যা নিয়ে লোকজন প্রচুর কথাবার্তা বলছেন। ঠিক কী ঘটেছিল তখন? ১. সমুদ্র সৈকত প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিচিত ছিলেন একজন প্রপার্টি ব্যবসায়ী হিসেবে। তারপরেও এটি বিস্ময়কর যে কেন তিনি উত্তর কোরিয়ার অপরিচিত সমুদ্র উপকূলের কথা উল্লেখ করেছেন। মি. কিমের সাথে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, \"তাদের (উত্তর কোরিয়া) দারুণ কিছু সমুদ্র সৈকত আছে। তারা যখন সমুদ্রে তাদের কামান থেকে বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন আপনারা সেসব দেখতে পান। সেখানে কি দারুণ সব বাড়িঘর বা কন্ডো হতে পারে না?\" যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার নাগরিকদেরকে উত্তর কোরিয়ায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এবং বলেছে, যেসব নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা যেন যাওয়ার আগে উইলের খসড়া করে যান। ২. পোজ বা ভঙ্গি দুই নেতা যখন একসাথে দুপুরের খাবার খেতে যান, মি. ট্রাম্প তখন খাবারের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সকৌতুকে জিজ্ঞেস করেন:\"ভালো ছবি পাচ্ছেন, সবাই? যাতে আমাদেরকে সুন্দর, হ্যান্ডসাম এবং চিকন দেখায়?\" তবে তার এই কথার অর্থ মনে হয় অনুবাদের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল। কারণ মি. কিমের চোখেমুখে তখন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফটোসাংবাদিকদের কাছে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে সুন্দর দেখাচ্ছে কিনা। আরো পড়তে পারেন: প্রিয়াঙ্কার পর এবার এক মুসলিম লেখককে আক্রমণ সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? প্রবাসী আয়ে করারোপ: সরকার মনে করছে চক্রান্ত ৩. ভিডিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদেরকে চার মিনিটের একটি ভিডিও দেখানো হয়। এটি খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। ভিডিওটি ছিল কোরীয় এবং ইংরেজি ভাষায়। সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প বলেছেন যে এই ভিডিওটি তিনি কিম জং-আনকে দেখিয়েছেন। ভিডিওটিতে এমন কিছু দৃশ্য আর মিউজিক যোগ করা হয়েছে যাতে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। এর ধারাভাষ্য দিচ্ছেন যিনি, নাটকীয় কণ্ঠে তিনি জিজ্ঞেস করছেন: \"এই নেতা কি তার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে কাজ করবেন ... তিনি কি শান্তির সাথে হাত মিলিয়ে সমৃদ্ধি উপভোগ করবেন, যে সমৃদ্ধি তিনি আগে কখনো দেখেননি?\" সাংবাদিকদের যে ভিডিওটি দেখানো হয় তার একটি স্থির চিত্র। ৪. দ্য বিস্ট আলোচনার পর মি. ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার কালো রঙের লিমুজিন গাড়িটি দেখাবেন। গাড়িটি পরিচিত 'দ্য বিস্ট' নামে। ক্যামেরা তখন দুই নেতাকে অনুসরণ করলো। তারা হেঁটে গেলেন গাড়ির দিকে। মি. কিম খুব অল্প সময়ের জন্যে গাড়ির ভেতরটা দেখলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মি. কিমকে তার গাড়িটি দেখালেন। ৫. কলম সমঝোতায় সই করার জন্যে টেবিলের উপর যে কলমটি রাখা ছিল সেটি ছিল কালো রঙের। তার গায়ে ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর, সোনালী রঙের। উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা কলমটি পরীক্ষা করে দেখছেন। কিন্তু এই কলমে সই করেননি মি. কিম। একেবারে শেষ মুহূর্তে মি. কিমের প্রভাবশালী বোন কিম ইউ-জং তার ভাই-এর দিকে একটি বলপয়েন্ট কলম এগিয়ে ধরেন, যা দিয়ে তিনি চুক্তিতে সই করেছেন। পুরো সফরেই উত্তর কোরিয়ার নেতার নিরাপত্তার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কলমটি কি রাজনৈতিক না-কি নিরাপত্তার কারণে বদলানো হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার নয়। সংবাদ মাধ্যমে এও খবর বেরিয়েছে যে মি. কিম তার সাথে করে একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? বলা হচ্ছে, যাতে মি. কিমের মলমূত্র থেকে কেউ তার সম্পর্কে জৈব-তথ্য বের করে ফেলতে না পরে। অবশ্য এই খবরটি বিবিসি যাচাই করে দেখতে পারেনি।", "doc2": "Big planes and jogging guards: Donald Trump and Kim Jong-un have arrived in Singapore Mista Trump ya isa, sa'o'i bayan Mista Kim da tawagarsa sun isa Singapore. Haduwarsu, ita ce ta farko tsakanin shugaban Koriya ta Arewa da shugaban Amurka. A ranar Talata ne shugabannin biyu za su yi ganawar da duniya ta dade yana jira a tsibirin Sentosa na Singapore. Trump ya bayyana ganawar a matsayin \"wani abu na lokaci daya\" a zaman lafiya tare da cewa su biyu sun kasance a kasar da ba su sani ba. Amurka na fatar tattaunawar za ta bude kofa ga tsarin da zai sa Kim Jong-un ya hakura da makaman nukiliya. Shugabannin biyu sun dauki lokaci suna yi wa juna barazana tare da musayar zafafan kalamu kafin amincewa su hadu gaba da gaba. Kim Jong-un ya riga Shugaban Amurka Donald Trump isa Singapore Mista Kim ya gana da Firaministan Singapore Lee Hsien Loong bayan ya isa. Ana sa ran Mista Trump zai gana da Firaministan na Singapore kafin soma tattaunawarsu da Mista Kim. Donald Trump iso Singapore daga taron G7 a Canada A watan Maris ne Donald Trump ya amince ya yi ganawar keke da keke da Kim Jong-un. Amma tun daga wannan lokacin, aka shiga rashin tabbas ga tattaunawar, inda Mista Trump ya taba fitowa yana cewa ba za a yi tattaunawar ba, amma bayan bin hanyoyi na diflomasiya, yanzu shugabannin biyu za su zauna su tattauna. Singapore ita ce kasa ta uku da shugaban Koriya ta Arewa Kim Jong-un ya taba ziyarta tun zamansa shugaban kasa a 2011. Ya taba zuwa China a watan Maris, ziyararsa ta farko a matsayin shugaban Koriya ta Arewa a wata kasa. A watan Afrilu, Kim Jong-un ya kasance shugaban Koriya ta Arewa na farko da ya taka kafarsa zuwa Koriya ta Kudu inda ya gana da shugaban kasar Moon Jae-in."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52689965", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52679180", "doc1": "ইউক্রেনের এক পুরুষ বলছেন তার নারী সঙ্গীর দ্বারা মানসিক, শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তিনি যৌন নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। সেই তুলনায় পরিবারের পুরুষ সদস্যের ওপর সহিংসতার বিষয়টি যেমন অনেক কম আলোচনায় আসে, তেমনি এ ধরণের ঘটনা খুব বেশি ঘটেও না। অনেক সমাজেই পুরুষদের জন্য পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চল নেই, এবং অনেকক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের একাই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইউক্রেনের এক তরুণ বিবিসি'র কাছে তার জীবনের ঘটনা বলেন। তার জবানিতেই তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলো এখানে। আমার প্রথমবার আমার বন্ধুরা কিছু সন্দেহ করেছিল কিনা জানি না। কিন্তু বাইরে থেকে দেখতে সবকিছু চমৎকার মনে হচ্ছিল। আমরা বন্ধুদের সাথে হাসিখুশিভাবেই দিনযাপন করছিলাম, আমাদের কোনো আর্থিক সমস্যাও ছিল না। এর মধ্যে পৃথিবীর অনেকগুলো দেশও ঘুরে আসি আমরা দু'জন। আমরা যখন অন্য কোথাও ভ্রমণ করতাম, তখন তাকে ভয় পেতাম না। সে মানুষের সামনে আমাকে নির্যাতন করে না। তবে ও যেন আমাকে একা না পায়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের পুরুষ সদস্যের ওপর সহিংসতার বিষয়টি যেমন অনেক কম আলোচনায় আসে, তেমনি এ ধরণের ঘটনা খুব বেশি ঘটেও না। মাত্র কিছুদিন আগে আমি বুঝতে পারি যে, আমার সাবেক স্ত্রী দশ বছর ধরে আমাকে ধর্ষণ করছে। ইরা আমার জীবনের প্রথম নারী ছিল। আমাদের বয়স যখন বিশের কোঠায়, তখন আমাদের পরিচয়। সেই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমার বাবা-মা আমাকে বলে রেখেছিল যে কাউকে ডেট করা শুরু করলেই আমার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের মত থাকতে হবে। অর্থাৎ সম্পর্কে জড়ালে আমার মাথার ওপর ছাদ থাকবে না। আত্মসম্মানবোধের ঘাটতি আমার মা সবসময় আমার চেহারা নিয়ে বিব্রত ছিল। তিনি মনে করতেন আমি দেখতে ভাল নই। এই কারণে আমার তীব্র আত্মসম্মানবোধ সঙ্কট ছিল। ইরার সাথে শুরুর দিকে যখন যৌনমিলন হতো, সেসময় আমার আগ্রহ ছিল যৌনসঙ্গমের। কিন্তু স্বেচ্ছায় হলেও আমাদের যৌনমিলন ঠিক স্বাভাবিক ছিল না। তা ছিল কষ্টকর এবং আগ্রাসী। প্রথমবার যখন আমরা মিলিত হই, সেটি পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এবং শেষ হওয়ার পর আমার সারা শরীর ব্যাথা করছিল। তার একটা বাতিক ছিল যে যৌনসঙ্গমের শেষে আমার বীর্যপাত করতেই হবে। বীর্যপাত না হওয়া পর্যন্ত আমি সঙ্গম চালিয়ে যেতে হতো এবং গড়ে তা এক থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী হতো। সেক্স উপভোগ্য হওয়ার কথা, কিন্তু আমার জন্য বিষয়টি সেরকম ছিল না। আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না এবং আমি ভাবতাম এটাই স্বাভাবিক, আর তাই যৌনমিলনে রাজী হতাম। কিন্তু কিছুদিন পরই আমি যখন তাকে 'না' বলা শুরু করলাম, তখনই আমি ধর্ষিত হওয়া শুরু করি। আরো পড়তে পারেন: পুরুষ নির্যাতন: কতটা ? সমাজ কি এড়িয়ে যাচ্ছে ? 'পুরুষ অধিকার' রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন যারা ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ সঙ্গীর দ্বারা নির্যাতনের ফলে হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন ইউক্রেনের ঐ তরুণ যেভাবে ফাঁদে পড়লাম একবার ব্যবসার কাজে আমার দীর্ঘদিনের জন্য বিদেশ যেতে হয়। আমার ভয় হয় যে কাজ শেষে দেশে ফিরে আমি হয়তো ইরাকে আর ফিরে পাবো না। তাই আমি তাকে আমার সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেই। এমনকি সফরে যাওয়ার আগে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেই আমি। সে বিয়ে না করলেও আমার সাথে সফরে যেতে রাজি হয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় মূল ঘটনা। সারাদিন কাজ শেষে আমি পরিশ্রান্ত থাকতাম, আর সে যৌনমিলন করতে চাইতো। প্রথমে কয়েকদিন রাজি হলেও পরে আমি যখন রাজি হতাম না, সে তখন বলতো, \"এটা আমার চাহিদা, সুতরাং তোমার আমাকে দিতেই হবে। আমি বহুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।\" তখন আমি বলতাম, \"আমি ক্লান্ত। আমি বিশ্রাম নিতে চাই।\" তখন সে আমাকে আক্রমণ করতো। নখ দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকতো যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি রক্তাক্ত হতাম। সে কখনও আমার মুখে আঘাত করতো না। এমন জায়গায় করতো যা পোশাকের নীচে থাকবে: যেমন বুকে, পিঠে বা হাতে। আমি কখনও প্রতিবাদ করতাম না কারণ আমি মনে করতাম একজন নারীকে আঘাত করা ঠিক কাজ নয়। আমি হীনমন্যতায় ভুগছিলাম এবং নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল। যৌনসঙ্গমের সময় সাধারণত সে আমার ওপরে থাকতো। হোটেলে একবার নিজের জন্য আলাদা রুমও নিতে চেয়েছিলাম আমি। কিন্তু আমি তাদের ভাষা বুঝতাম না, তাই শেষপর্যন্ত রুম নিতে পারিনি। কাজ শেষে হোটেলে ফিরে যেতে ভয় লাগতো আমার। তাই রুমে ফিরে না গিয়ে বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে বেড়াতাম। শপিংমল বন্ধ হওয়ার পর ঘুরতাম শহরের অলিগলিতে। শরৎকালের ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এরকম ঘোরাঘুরির ফলে আমার ইউরিন ইনফেকশন, প্রোস্টেইটিস ও জ্বর হয়। কিন্তু এসব কিছুই ইরাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সে যা চাইতো, তা আমার করতে হতো। সবচেয়ে খারাপ ছিল ছুটির দিনগুলো: শনিবার সকালে আর রবিবার রাতে হতো এটি। আমি ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার দিন গুনছিলাম। আমি ভেবেছিলাম ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার পর আমার আর ইরার সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। দশ বছর সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের চেষ্টা করে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তি বিচ্ছেদের বিফল চেষ্টা ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার পর আমি আমার বাবা-মা'র সাথে থাকতে শুরু করি, ইরার সাথে যোগাযোগ করাও বন্ধ করে দেই। কিন্তু তার সাথে বিচ্ছেদের প্রচেষ্টা দীর্ঘায়িত হয় দশ বছর পর্যন্ত। আমি তার সাথে ঝগড়া করে সবকিছু থেকে তাকে ব্লক করে দিতাম, সে এলে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতাম। কিন্তু সে বন্ধ দরজার ওপারে বসে আমাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করতো, বলতো যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর প্রতিবারই আমি শেষপর্যন্ত তার কাছে ফিরে যেতাম। একা থাকাকে ভীষণ ভয় পেতাম আমি। শুরুর দিকে আমি তার সাথে ছাড়াছাড়ির অনেক চেষ্টা করলেও সময়ের সাথে সাথে আমার চেষ্টাও কমতে শুরু করে। পরে একপর্যায়ে আমি চেষ্টাই ছেড়ে দেই। সে আমাকে বিয়ে করতে চায়, এবং আমরা বিয়ে করিও। যদিও আমার বিয়ে করার কোনো আগ্রহ অবশিষ্ট ছিল না। ইরা সবার ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত ছিল। আমার বন্ধু, পরিবার সবার ব্যাপারে। আমি যেখানেই যেতাম, আমার সবসময় তাকে ফোন করতে থাকতে হতো। সে সবসময় আমাকে প্রশ্ন করতো যে 'কেন কনফারেন্সে যেতে হবে আমার?' বা 'কেন আমি বন্ধুদের সাথে দেখা করি?' আমাকে ছাড়া সে কোথাও যেতে পারতো না - আমি যেন সব জায়গায় তার মনোরঞ্জন করার খেলনা ছিলাম। ইরার কোনো চাকরি ছিল না। আমার আয়েই আমাদের খরচ চলতো। দুই বেডরুমের একটা বড় অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেই আমরা। বাসার বড় বাথরুম ব্যবহারের অনুমতি ছিল না আমার। আমার সবসময় 'গেস্ট' বাথরুম ব্যবহার করতে হতো। প্রতিদিন সকালে সে ঘুম থেকে ওঠার আগে আমার অপেক্ষা করতে হতো, যেন আমি তার ঘুমের 'ব্যাঘাত' না ঘটাই। আমরা ঘুমাতামও ভিন্ন রুমে এবং আমার রুম বন্ধ করার ব্যবস্থা ছিল না। আমি এক মুহুর্তের জন্যও একা থাকতে পারতাম না। আমি যদি 'ভুল' কিছু করতাম, তখন সে আমার সাথে চিৎকার করতো এবং আমাকে মারতো। প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটতো। যে কোনো বিষয়ে সে আমার দোষ দিতো। আমি সবসময় শুনে এসেছি যে তার কোন ধরণের পুরুষ পছন্দ এবং তার জন্য সেই পুরুষ কী কী করবে। সে যা করতে বলতো, শুধু তার রাগ থেকে বাঁচার জন্য আমি তাই করতাম। আমি দাবি করছি না যে আমি ত্রুটিমুক্ত। এসব থেকে দূরে থাকতে আমি দিনে ১০, ১২, ১৪ ঘণ্টা করে কাজ করতাম - এমনকি ছুটির দিনেও। এটা এমন কিছু না, এ ধরণের পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ মদ্যপান করে - অন্যরা কাজ করে। যেভাবে বেরিয়ে আসার শুরু আপনি যখন ওরকম একটা পরিস্থিতিতে থাকবেন, তখন আপনার সাথে কী হচ্ছে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন না আপনি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথও আপনি দেখতে পাবেন না, আবার কারো সাহায্যো চাইতে পারবেন না। আপনার মনে হতে থাকবে এই অবস্থা থেকে আপনার মুক্তির পথ নেই। হতাশায় ডুবে যাওয়ার মত একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমার ধারণা ছিল যে সম্পর্কের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে হয়। তাই আমি নিজেকে এবং নিজের ইচ্ছাগুলোকে ত্যাগ করেছিলাম। সেসময় এই ত্যাগকে স্বাভাবিকই মনে হয়েছিল। সম্পর্কের শুরুর দিকে সেক্স ভালো লাগলেো পরে একটা লম্বা সময় আমার আর সেক্স ভালো লাগতো না। কিন্তু শেষ তিন চার বছর সেক্সের কথা চিন্তা করলেই আমার প্যানিক অ্যাটাক হতো, আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়তাম। যখনই ইরা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধরে আমার সাথে যৌনমিলনে উদ্যত হতো, তখনই এরকম হতো। আমার মধ্যে যখন আতঙ্ক তৈরি হতো, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঘর থেকে, কখনো বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতাম। ইরার বিশ্বাস ছিল আমার জন্যই আমাদের যৌনজীবনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই কয়েক বছর পরপর আমাকে সেক্সোলজিস্টের কাছে নিয়ে যেতো সে। যখনই আমি বলতাম যে সেক্সের সময় আমার কিছু একটা পছন্দ হচ্ছে না, অথবা আমার সেক্স পছন্দ না - সে আমাকে বলতো যে আমিই আসল সমস্যা। আমাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের ব্যাপারে আমি সাধারণত নীরব থাকতাম। আর চিকিৎসকের সাথে দেখা করার ঘটনাগুলোর মাধ্যমে ইরা নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠার একটা সুযোগ পেয়েছিল। ডিভোর্সের কিছুদিন আগে থেকে আমি যৌন সহিংসতার কথা মানুষকে বলা শুরু করি। আর বলা শুরু করার পর আমি আর থামিনি। যেভাবে সাহায্য পেলাম এক শরতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আমার টানা জ্বর ছিল। ঐ পুরোটা সময় কেউ আমার খোঁজ খবর নেয়নি। তখনই আমার মাথায় আসে যে আমার জীবন আসলে অর্থহীন। আমি মারা গেলেো কেউ খেয়ালই করবে না। সেই মুহুর্তটায় একসাথে আতঙ্ক, দুঃখ আর নিজের উপর ধিক্কারের একটা মিশ্র অনুভূতি বোধ হয় আমার। আমার কারো সাথে এনিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করছিল - কিন্তু অমার কোনো ধারণা ছিল না কার সাথে কথা বলা যায়। এর কিছুদিন পর আমি আমার বাবা-মা'র বাসায় যাই কয়েকদিন একা থাকার জন্য। সেসময় তারা বাসায় ছিলেন না। সেসময় ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইটে পরিচয় প্রকাশ না করে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো জানাই আমি একজনকে। সেবারই প্রথম আমি কারো সাথে সেসব ঘটনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। সেখান থেকে আমি সাহস পাই এবং ধীরে ধীরে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠি। আগে সেক্স করতে না চাইলে আমি চুপ করে থাকতাম এবং নির্যাতন সহ্য করতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি 'না' বলা শুরু করলাম। একপর্যায়ে আমি পারিবারিক একজন চিকিৎসকের সাহায্যও পাই। সেসময় আমি ও ইরা দু'জনই ঐ চিকিৎসকের সাথে একসাথে আলোচনা করতাম। ঐ সময়ই আমি প্রথমবার কোনো চিকিৎসকের সামনে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলতে সক্ষম হই। আর সেগুলো বলার পর ইরা ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে বলতে থাকে যে আমার অভিযোগ মিথ্যা। তবে ঐ ঘটনার পরপরই সে ডিভোর্সের পরামর্শ দেয়। আমিও সুযোগ হাতছাড়া করিনি। একমাস পর যেদিন ডিভোর্সের কাগজ হাতে পাই, সেটি ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ডিভোর্সের পর একদিন আমি চিৎকার করে তাকে বলি, \"তুমি আমাকে ধর্ষণ করছিলে?\" সে উত্তর দিয়েছিল, \"ধর্ষণ করছিলাম? তো কি হয়েছে!!\" সেদিন তার কথার উত্তর দিতে পারিনি আমি, এখনও সেই উত্তর জানা নেই। তবে সে অন্তত স্বীকার করেছে অভিযোগ, যদিও এ নিয়ে হাসাহাসিই বেশি করেছে। পারিবারিক ও যৌন সহিংসতা বিষয়ক সাপোর্ট গ্রুপের সাহায্য পেলে ও তাদের সাথে কথা বলতে পারলে আমি হয়তো আগেই এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে পারতাম, কিন্তু ইউক্রেনে এরকম সাপোর্ট গ্রুপ রয়েছে শুধু নারীদের জন্য। এমনকি ইউক্রেনে আমি প্রথম যেই সাইকোথেরাপিস্টের কাছে নিজের সমস্যার কথা বলি, তিনি হেসে দিয়ে বলেছিলেন, \"তোমার স্ত্রী নারী আর তুমি পুরুষ। সে তোমাকে ধর্ষণ করতে পারে না।\" ছয়বার সাইকোথেরাপিস্ট পরিবর্তন করার পর এখন আমি কিছুটা সাহায্য পাচ্ছি। আমার মানসিক ক্ষতি হয়তো কখনোই পুরোপুরি পুষিয়ে নেয়া যাবে না। কিন্তু আমি মনে করি আমি যেমন বছরের বছর চুপ ছিলাম, আমার গল্প পড়ে আমার মত অভিজ্ঞাতার অন্য একজন ব্যক্তি হয়তো সাহস করে সাহায্য চাইবে, কারো সাথে কথা বলবে।", "doc2": "Abubuwan da ba a cika magana ba ko kuma bayar da rahoton su ba, su ne cin zarafin maza. Cin zarafin maza abin ƙi ne a al'ummomi da dama, kuma waɗanda hakan ya shafa suna gwagwarmayarsu su kaɗai ba tare da samun taimako ba. Wani matashi daga ƙasar Ukraine ya yi wa BBC karin bayani dangane da abin da ya fuskanta inda ya ce a sakaya sunansa. Ga abubuwan da ya shaida mana da kuma shawarwari kan alamomin da za a iya gane cin zarafi. A karon farko Ban sani ba ko abokai na sun zargi wani abu. Mutane na kallon komai lafiya daga waje: ana wasa da dariya da nishadi da komai na more rayuwa. Mun zagaye kusan kasashen duniya tare. Ba na tsoranta idan mun yi tafiya: ba ta cin zarafi na gaban sauran mutane. Babban abin da nake yi shi ne na guji mu zauna mu biyu Sai a cikin 'yan kwanakin nan na gane cewa tsohuwar matata ta shafe shekaru 10 tana mani fyade. Ira ce matata ta faroko. Mun hadu dokacin muna 'yan shekaru 20 da wani abu - kuma ita ce ta ce tana so na. Iyayena suka matsa mani dole sai na bar gidansu sakamakon na fara soyayya da wata. Ma'ana idan na gfara soyayya dole na bar gidan iyayena na fara sabuwar rayuwa, a rana daya na rasa komai. Abin ya bani tsoro. Zan iya zama da ita ne kawai idan na tara kudi. Kaskantar da kaina Dangane da haka, na zama abin kunya wurin mahaifiyata da kuma yadda na koma - na kaskantar da kaina. Jima'i na na farko da Ira na fara yi a rayuwata, duk da na so haka. Sai dai hakan bai yi mani daidai ba, jima'in ya yi mani zafi. Jima'in da muka yi na farko mun shafe sa'o'i biyar muna yi, kuma na cutu duk a wannan lokaci. Tana da wani tunani na cewa dole sai na fitar da maniyi kafin ta kyale ni, sai da ta yi ta taba ni har hakan ya faru. Hakan yana daukar kusan awa daya zuwa biyu. Ana jima'i ne domin a ji dadi amma ni ban taba jin dadinsa ba. Ban saba da yin jima'i ba, duk a tunanina wahala ake sha a wannan harka. Amma ba da dadewa ba, sai na ce ''A'a,'' amma hakan bai sa ta daina ba. Ta hakan ne ya zama ta fara yi mani fyade. Na shiga tarko Hakan ya sa na yi doguwar tafiya zuwa kasar waje domin yin kasuwanci. Ina tsoron rasa Ira, wannan ne ya sa na nemi ta biyo ni. Na yi kokarin mu yi aure da ita, amma ta ki yarda, amma duk da haka ta biyo ni. Daga nan ne aka fara. Na dawo aiki na gaji ina so na huta, amma sai ta fara neman da mu yi jima'i. Na yarda da hakan a karon farko da na biyu a kullum sai ta koma ta ce tana so mu yi, sai na ce mata A'a. Hakan ke saka wa tana duka na kuma babu abin da zan iya yi. Tana amfani na ƙumbar yatsunta inda take kartar jikina har sai ya fitar da jini, wani lokaci ma har naushi na take - amma bata ji mani ciwo a fuska sai dai tana cutar da ni ne a inda ke boye a jikina kamar kirjina da baya da hannuwa na. Bana dukanta sakamakon ina tunanin dukan mace ba daidai bane. Haka iyayena suka tarbiyantar da ni. Ina jin kaina kamar wani karamin yaro, domin na kasa guduwa. Tana samun abin da take so kuma ita ce ke morewa. Na yi kokarin kama daki a wani otel amma ban iya yaren da suke yi ba, sun kasa gane me nake so na fadi, a haka ma na kara fadawa wani tarko. Na ji tsoron komawa otel ko da na tashi aiki, hakan ya sa na yi ta gararamba cikin kasuwa har lokacin tashi. Bayan nan sai na ci gaba da yawo cikin gari cikin sanyi ga shi ban da kayan sanyi. Hakan ya sa na samu ciwon mafitsara da masassara. Duk da haka Ira ba ta daina mani fyade ba: Dole na yi abin da take so. Na yi kokarin rabuwa da ita amma abin ya gagara Na koma zama da iyayena da kokarin yanke alakata da Ira, amma duk kokarin da na yi na yanke hulda da ita na shekaru ya ci gaba a haka. Za mu yi fada, na kashe wayata, na boye amma duk da haka za ta zo ta bani hakuri tare da yin alkawarin komai ya wuce ba zai sake faruwa ba. Kuma a kullum ina kokarin komawa domin ci gaba da zama da ita. Tun a farko na yi kokarin rabuwa da ita amma a karshe na kasa. Ta tilasta mani kan cewa dole sai na aure ta kuma mun yi auren duk da ba a son raina ba. Yadda na samu mafita Wata rana lokacin damina, ina kwance kan gado masassara da ciwon kirji sun kwantar da ni. Babu wanda ya zo domin duba ni duk a lokacin. A lokacin ne na gane rayuwata ba ta da amfani a wurin jama'a kuma babu wanda zai zo domin ya duba ni ko da na mutu. Lokacin na shiga wani hali na tsoro da tashin hankali kuma na zama abin tausayi. Na yi kokarin fada wa wani amma ban san wanda zan fada wa ba. Wani lokaci nakan je gidan iyayena idan ba su nan domin na zauna ni kadai. A karshe dai sai na samu wani likita mai ilimin kwantar da hankali da bada shawarwari wanda ya taimaka mani. Ni da Ira mun samu kowa ya bayyana abin da ke cikinsa kuma a lokacin da nake bayani an hana ta ta katse ni daga bayani na. A wannan lokaci ne na fara magana kan cin zarafin da take yi mani. Ta nuna bacin ranta tana ta ihu inda take cewa ba gaskiya bane. A lokacin sai ta nemi mu rabu, kuma na san ba son haka take yi ba. Ina tunanin ta yi kokari ne domin ta rufe mani baki. Na san bazan samu dama irin haka ba, wannan ne ya sa na yarda mu rabu. Kuma a karshe mun rabu. Ko a ranar da na saka hannu kan takardar rabuwa, ita ce rana mafi farin ciki a gareni."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53454350", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53449940", "doc1": "গত ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' শিরোনামের যে বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং, ঐ সমাবেশের আয়োজকদের মধ্যে একজন ছিলেন জন লুইস। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতা ছিলেন জন লুইস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ভুগছেন তিনি। জন লুইস কীভাবে হয়ে ওঠেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা? ১৯৬৩ সালের ২৩শে অগাস্ট যেই সমাবেশে মার্টিন লুথার কিং তার ঐতিহাসিক 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' ভাষণ দেন, ঐ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দশ জন, তার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন জন লুইস - মার্টিন লুথার কিং'এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেদিন সাদা-কালো সকল ধর্মবর্ণের আমেরিকানই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ থেকে এসে ওয়াশিংটনে সমবেত হয়েছিল, তাদের দাবি ছিল বর্ণবৈষম্যের অবসান। জন লুইসের বয়েস তখন মাত্র ২৩। তিনিও ছিলেন ওই সমাবেশের একজন বক্তা। ১৯৬৩ সালের অগাস্টে ঐতিহাসিক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন জন লুইস ঐ সমাবেশের বক্তাদের মধ্যে শুথুমাত্র জন লুইস'ই বেঁচে ছিলেন। জন লুইসের নিজের শৈশব কেটেছে বর্ণবৈষম্যের মধ্যে। ১৯৪০ সালে আলাবামার ট্রয় শহরে জন্ম হয় তার। আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গ শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠার সময়ই তীব্র বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় তাকে। সেসময় আলাবামা রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের একসাথে পড়ালেখা করার বিষয়ে বিধিনিষেধ ছিল। জন লুইস ট্রয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চাইলেও সেটিতে শুধু শ্বেতাঙ্গদেরই পড়ার অধিকার ছিল। এর কারণে ১৭ বছর বয়সে আলাবামা রাজ্য ত্যাগ করেন তিনি, যোগ দেন টেনেসির আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আরো পড়ুন: অহিংস আন্দোলন কিভাবে দুনিয়া বদলে দিতে পারে? নিজের হত্যা সম্পর্কে কি জানতেন মার্টিন লুথার কিং? ২০১৫ সালে বারাক ওবামা ও জন লুইস এরই মধ্যে নিজ শহর ট্রয়ে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার আবেদনপত্রের বিপরীতে কোনো জবাবই দেয়নি। ট্রয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় জন লুইসের চিঠির উত্তর না দেয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তার হতাশার কথা জানিয়ে মার্টিন লুথার কিংকে চিঠি লিখেন জন লুইস। জবাবে কিং জন লুইসকে মন্টেগোমেরির টিকিট পাঠান, যেন তিনি সেখানে গিয়ে কিংয়ের সাথে দেখা করতে পারেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের সাথে জন লুইসের ঐ সাক্ষাৎই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে জন লুইসের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা হওয়ার পথে প্রথম ধাপ। ছাত্রজীবনের প্রায় পুরোটা সময়েই আফ্রিকান-আমেরিকানদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন জন লুইস। ১৯৬১ সালে গণপরিবহণে কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে যেই ১৩ জন 'ফ্রিডম রাইডার' যাত্রা শুরু করেন, জন লুইস ছিলেন তাদের একজন। সেসময় আমেরিকার কোনো গণপরিবহণে বা পাবলিক প্লেসে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পাশাপাশি দাঁড়ানো আইনত দণ্ডনীয় ছিল। এই নিয়মের প্রতিবাদ করতে ১৩ জন প্রতিবাদকারী - যাদের ৭ জন শ্বেতাঙ্গ ও ৬ জন কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন - ওয়াশিংটন থেকে নিউ অরলিন্স পর্যন্ত বাসে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াল সহকারী গ্রেফতারের পর ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে সাহেদ-সাবরিনা আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনাম হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধের দামামা শুরুর দিকে ভার্জিনিয়া বা নর্থ ক্যারোলাইনা অঞ্চলে ঝামেলা না পোহালেও সাউথ ক্যারোলাইনার রক হিলের একটি বাস স্টেশনে শ্বেতাঙ্গ গুণ্ডাদের আক্রমণের শিকার হন তারা। তাদের অপরাধ ছিল শুধু শ্বেতাঙ্গদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত একটি ওয়েটিং রুমে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন তারা। সেদিন লুইসকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। সেদিন তার ওপর আক্রমণ করা এলউইন উইলসন ২০০৯ সালে এক অনুষ্ঠানে সবার সামনে লু্ইসের কাছে ক্ষমা চান এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লিংকন মেমোরিয়ালে আড়াই লাখ মানুষের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়েছিলেন জন লুইস। ঐ বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, \"পুলিশের মার খেতে খেতে আমরা ক্লান্ত। আমাদের লোকেরা কারাগারে যেতে যেতে ক্লান্ত। আর জবাবে বলা হয় 'ধৈর্য্য' ধরতে। আর কতদিন ধৈর্য্য ধরে থাকবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই এবং এখনই চাই।\" 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' নামে খ্যাত হওয়া মার্টিন লুথার কিং-এর ওই ভাষণ সারা আমেরিকা জুড়ে টেলিভিশনে প্রচার হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবেই সেটি স্বীকৃতি পেয়েছিল এক ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে। আমেরিকার সিভিল রাইটস আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা ছিল উচ্চতম মুহুর্তগুলোর একটি। ড. কিং-এর স্বপ্নের আমেরিকার সেই রূপকল্প সেদেশেই শুধু নয় - তার বাইরেও মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। জন লুইস (বাম থেকে তৃতীয়) ও ড. মার্টিন লুথার কিং (মাঝে) ১৯৬৫ সালে এক পদযাত্রায় জন লুইসের কাছে - ড. কিং শুধু একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, ছিলেন একজন বন্ধুও। ২০১৩ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জন লুইস বলেছিলেন 'আজকের আমেরিকায় মার্টিন লুথার কিং'এর বিখ্যাত উক্তিগুলোর অনুরণন এখনো হচ্ছে।' গত কয়েকবছর যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আইন, নীতিমালা ও বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেছেন জন লুইস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন তিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া স্বত্ত্বেও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পেছপা হননি তিনি। জন লুইস বলতেন, \"তুমি যখন দেখবে যে কিছু একটা অন্যায়, অবিচার হচ্ছে, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বল। তোমার তখন এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হবে, কিছু করতে হবে।\" \"লড়াইয়ে বুঝে শুনে নেমো, কিন্তু যখন সময় আসবে তখন অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও লই করতে পিছপা হবে না।\"", "doc2": "Barack Obama ina cikin wadanda suka yi jimanin mutuwar John Lewis Lewis na cikin mutanen da ake yi wa laƙabi da shugabannin fafutukar kare haƙƙin dan adam, \"Big Six\" waɗanda suka haɗa da Martin Luther King Jr, kuma ya taimaka wajen hada gangamin mai tarihi a watan Maris na 1963 a birnin Washington. Barack Obama yana cikin fitattun mutanen da mutanen da suka yaba wa Lewis bisa gudunmawar da ya bayar. Dantakarar shugaban Amurka Joe Biden, ya bayyana Lewis a matsayin \"mutum na daban, kuma mai kima\". Mista Obama ya ce ya yi magana da tsohon dan majalisar dokokin na Amurka, wanda ya yi fama da ciwon daji, gabanin mutuwarsa.. \"Muryarsa na ɗauke da kalamai masu ɗa'a sannan yana cike da dariya da farin ciki. Maimakon ya mayar da hankali kan fargabar da muke nuna wa a kan larurar da ke damunsa, ya bukaci mu mayar da hankali wajen aikin da muke yi na ganin an daidaita harkokin kasar nan.\" Barack Obama ya ce: \"Ba kowanne mutum ne yake ganin abubuwan da ya shuka sun nuna yana raye ba. Amma John Lewis ya ga sakamakon gudunmawar da ya bayar. Sakamakon abubuwan da ya yi ne ya sa muka tsaya da duga-duganmu — mu ci gaba da yin abin da ya dace har sai ƙasar nan ta cika dukkan muradunta.\" Tsohon Shugaban Amurka George W Bush ya ce Lewis ya yi \"aiki tukuru wajen haɗa kan kasarmu\", yayin da Bill Clinton ya bayyana shi a matsayin \"ruhin kasar nan\". Shugaba Donald Trump, wanda Lewis ya fito bainar jama'a ya caccaka, bai ce komai game da mutuwarsa ba ya zuwa yanzu, ko da yake an yi ƙasa-ƙasa da tutotcin Amurka ranar Asabar da safe. Shugabannin ƙasashen duniya, ciki har da Shugaban Faransa Emmanuel Macron, sun yi jimanin mutuwar Lewis."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54430523", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/54430565", "doc1": "হাসপাতাল থেকে ফেরার পর হোয়াইট হাউসের ট্রুম্যান ব্যালকনিতে দেখা যায় মি. ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন, যেখানে সম্প্রতি অনেক কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টা কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে মি. ট্রাম্প টুইটে বলেছিলেন \"বেশ ভাল বোধ হচ্ছে।\" \"কোভিডকে ভয় পাবেন না। এটাকে আপনাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না।\" যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৪ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সপ্তাহান্ত জুড়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য সম্বলিত বিবৃতি প্রকাশের পর মি. ট্রাম্পের অসুস্থতা নিয়ে গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। ট্রাম্পের ফিরে আসার সময় কী হলো? সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ছাড়ার আগে আমেরিকানদেরকে এই রোগ নিয়ে ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প। আর হাসপাতাল ছাড়ার পর তিনি বলেন: \"২০ বছর আগে যেমনটা বোধ করতাম এখন তার চেয়ে অনেক ভাল অনুভব করছি।\" টুইটেও তিনি বলেন: \"শিগগিরই প্রচারণায় ফিরবো।\" দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ের মাস খানেক আগে তার এই চিকিৎসা তার প্রচারণায় বেশ ভাল রকমেরই প্রভাব ফেলেছে। হোয়াইট হাউজের এই নির্বাচনের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেন। আরো পড়ুন: নীল রঙের স্যুট, টাই এবং মাস্ক পরে ওয়াশিংটনের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসেন মি. ট্রাম্প। সেসময় বার বার হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করছিলেন এবং খুলছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, \"সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।\" সেসময় এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, \"মি. প্রেসিডেন্ট আপনি কি একজন সুপার সংক্রমণ বিস্তারকারী?\" তবে সে প্রশ্নও এড়িয়ে যান তিনি। মি. ট্রাম্প থাম্পস-আপ এবং সামরিক স্টাইলে স্যালুট দেয়ার আগে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এরপর হেলিকপ্টারে করে হোয়াইট হাউজে এসে পৌঁছান মি. ট্রাম্প। এর পরে তোলা ছবিতে তাকে হোয়াইট হাউজের ট্রুম্যান ব্যালকনিতে দেখা যায়। সেখানে থাম্বস-আপ এবং সামরিক স্টাইলে স্যালুট দেয়ার আগে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পর এক টুইটে নিজের ফিরে আসার ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন তিনি। আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তাও রেকর্ড করেন যেখানে তিনি সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। \"আপনারা একে পরাজিত করতে যাচ্ছেন,\" তিনি তাদের বলেন। \"আমাদের সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে, সবচেয়ে ভাল ওষুধ রয়েছে। এ সব কিছুই সম্প্রতি উন্নয়ন করা হয়েছে।\" তিনি আরো বলেন: \"আমরা অগ্রগামী হবো। আপনাদের নেতা হিসেবে আমাকে সেটা করতেই হবে। আমি জানি যে এতে বিপদের ঝুঁকিও রয়েছে, কিন্তু এটা আমাকে করতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাবো এবং নেতৃত্ব দেবো।\" তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে: \"এখন আমি ভাল আছি। হয়তো আমি রোগটি থেকে নিরাপদ, আমি আসলে জানি না।\" তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, প্রতিষেধক আসাটা এখন \"সময়ের ব্যাপার মাত্র,\" যদিও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলেছে যে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আগে কোন প্রতিষেধক আসবে না। চিকিৎসকরা কী বলছেন? হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক নেভি ক্যাডার শন কনলি সোমবার বিকেলে বলেন যে, মি. ট্রাম্প \"হয়তো এখনো ঝুঁকি মুক্ত নন।\" কিন্তু তিনি বলেন যে, প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং উন্নতি \"তার বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য উপযোগী যেখানে তিনি সব সময় বিশ্বমানের চিকিৎসা পাবেন।\" কিন্তু মি. ট্রাম্প সবশেষ কবে কোভিড নেগেটিভ পরীক্ষা করিয়েছেন কিংবা তার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত কোন কিছু নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি ডা. কনলি। রোগীর গোপনীয়তা সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্টের নিউমোনিয়ার জন্য স্ক্যান নিয়েও বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে মি. ট্রাম্প স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসেন এবং দিনে তিন বার করে রেমডিসিভির অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবন করছেন। মি. ট্রাম্প নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর জন্য ভ্রমণ করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে ডা. কনলি বলেন: \"আমরা দেখবো।\" কিন্তু সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্পের চিকিৎসক দল বার বারই গুরুত্বারোপ করেছে যে মি. ট্রাম্প বেশ ভাল করছেন।", "doc2": "Bayan komawarsa, ya cire takunkumi, sannan ya dauki hotuna a gaban wasu tutoci a barandar Truman. Ya bayyana kamar baya iya numfashi sosai, sai dai duk da haka ya ci gaba da nadar bidiyon da ya wallafa a shafukansa na sada zumunta, in da a ciki yake kira ga 'yan kasar da kada su ji tsoron cutar korona. Dan takarar shugaban kasa na jam'iyyar Democrat Joe Biden, ya ce shugaban ne ya jawa kansa, la'akari da yadda ya rika sukar masu sanya takunkumi. Fadar White House ta sanar da cewa an kai Donald Trump asibiti kasa da sa'a 24 bayan ya kamu da cutar korona. Mista Trump ya fara nuna alamun kamuwa da cutar ta Covid-19 ne ranar Alhamis bayan da ya sanar da cewa shi da matarsa sun killace kansu cikin daren Laraba. An ba shi wasu magunguna, kamar yadda likitocinsa suka ce \"domin samar da matakin rigakafi\" a matakin farko.. Daga bisani fadar White House ta rika wallafa hotunan shugaban da ke nuna yana murmurewa, sai dai wasu rahotanni sun ce sai da aka tallafa masa da naurar taimakawa numfashi a wadansu ranaku. Shugaban dai ya ce yana jin karfi a jikinsa sosai, sannan yana jin cewa ya ma fi lafiya a yanzu, idan aka kwatanta da shekaru 20 da suka gabata."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53335755", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53352015", "doc1": "ভারতে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় কোবরার দংশনে গবেষণার জরিপে বলা হয়েছে সাপের কামড়ে মৃতের প্রায় অর্ধেকের বয়স ৩০ থেকে ৬৯এর মধ্যে, এবংএক চতুর্থাংশ শিশু। ভারতে সর্পদংশনে বেশির ভাগ মানুষ মারা যায় কোবরা (ভারতীয় গোখরা) , রাসেলস ভাইপার এবং ক্রেইৎস (কালাচ) প্রজাতির সাপের কামড়ে। বাদবাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্যান্য অন্তত ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় যেসব এলাকায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। বর্ষাকালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই সময় সাপ বাইরে বেরিয়ে আসে বেশি। আর সাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কামড় দেয় পায়ে। ই-লাইফ নামেএকটি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন যৌথভাবে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতে অসময়ে মৃত্যুর ওপর চালানো মিলিয়ন ডেথ টাডি নামে বিশালএক জরিপ থেকেও তথ্য নেয়া হয়েছে এই গবেষণার কাজে। রাসেলস ভাইপার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় খুবই বিষধর প্রজাতির সাপ। এই অঞ্চলে এই সাপ দেখা যায় খুবই বেশি। এরা সাধারণত ইঁদুর জাতীয় প্রাণী খায়। কাজেই শহরাঞ্চলে এবং গ্রামেও মানুষের বাসার আশেপাশেই তাদের ঘোরাফেরা বেশি। ভারতীয় ক্রেইৎ প্রজাতির সাপ আছে নানাধরনের। ক্রেইৎ ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই বিষধর প্রজাতির সাপ ভারতীয় ক্রেইৎ সাপ সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় না। কিন্তু রাতের বেলা তারা হিংস্র হয়ে ওঠে। এই সাপ দৈর্ঘে প্রায় পাঁচ ফুট ৯ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ভারতীয় কোবরা বা গোখরা সাপ সাধারণত কামড়ায় অন্ধকারের পর। গোখরার কামড়ে শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ হয়। ফলে এই সাপ কামড়ালে সাথে সাথে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সাপের কামড়: কত ভয়ানক হুমকি? স্বেচ্ছায় ২০০ বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন যিনি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল তিন-চোখওয়ালা সাপ এই জরিপে আরও দেখা গেছে ২০০১ সালে থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, সাপের কামড়ে মারা যাবার ৭০% ঘটনা ঘটেছে ভারতের আটটি রাজ্যে- বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা,উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটে। বলা হয় ভারতে মানুষের ৭০ বছর বয়স পুরো হবার আগে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতি ২৫০ জনে প্রায় একজনের। কিন্তু নতুন এই জরিপে বলা হচ্ছে কোন কোন এলাকায় এই ঝুঁকি এখন বেড়ে প্রতি ১০০জনে একজন হয়েছে। গবেষকরা বলছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন গ্রামে কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা বর্ষা মরশুমে সর্প দংশনের বড় ঝুঁকিতে থাকেন। বিশ্বে সাপ কামড়ানোর খতিয়ান ৫৪ লাখ মানুষ আনুমানিক হিসাবে প্রতিবছর সাপের কামড়ের শিকার হয় ১ লাখ মানুষ প্রতি বছর সাপের কামড়ে মারা যায় ৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে পঙ্গু বা অঙ্গবিকৃতির শিকার হয় কী করা সম্ভব? তারা বলছেন এসব এলাকায় \"সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষা এবং কিছু সহজ পদ্ধতি শেখানোর\" কর্মসূচি নেয়া উচিত। তাদের \"সাপ থেকে নিরাপদ\" থেকে কৃষিকাজ করার সহজ কিছু পদ্ধতি শেখানো সম্ভব, যেখানে তারা রবারের তৈরি বুট পরে মাঠে যেতে পারেন, হাতে গ্লাভস পরতে পারেন কৃষিকাজের সময় এবং ঝুঁকি কমাতে হাতে টর্চ রাখতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সাপের কামড়ের বিষয়টিকে এখন তারা \"বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার\" দিচ্ছে। সংস্থাটি বলছে সাপের দংশন থেকে যেসব জটিলতা তৈরি হয়, তা বিচার করলে দেখা যায় সাপে কামড়ানোর বিষয়টি ট্রপিকাল এলাকার রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি। প্রতি বছর পৃথিবীতে ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। প্রায় তিনগুণ মানুষ প্রাণে বেঁচে যান কিন্তু সাপের কামড় থেকে স্থায়ীভাবে তারা নানা কারণে পঙ্গু হয়ে যান। সাপের পেট থেকে গিলে খাওয়া তোয়ালে যেভাবে বের করলেন ডাক্তাররা", "doc2": "Akasari kububuwa da gamsheƙa da kasa ne macizan da suka kashe mutanen Kusan rabin waɗanda abin ya shafa na tsakanin shekaru 30 zuwa 69, sai kuma kwata ko kuma ɗaya bisa huɗu daga cikin waɗanda macizan suka kashe yara ne, a cewar binciken. Akasari kububuwa da gamsheƙa da kasa ne macizan da suka kashe mutanen. Sauran mutanen da suka mutu wasu macizai ne har na'uka 12 suka haddasa kisan. Akwai kisan da macizan suka yi da suka kasance masu muni sakamakon rashin asibiti a yankin da abin ya faru. Rabin waɗanda macizan suka kashe sun mutu ne a lokacin damina tsakanin watan Yuni zuwa Satumba, wanda lokaci ne da macizai ke fitowa. Akasarin waɗanda suka mutu, macizan sun sare su ne a ƙafa. Binciken wanda aka wallafa shi a jaridar open access journal eLife, manyan ƙwararru ne a ciki da wajen Indiya suka gudanar da shi. An yi shi ne bisa alƙaluman da aka tattara daga binciken da aka yi kan miliyoyin mutanen Indiya da suka mutu. Kububuwa wadda macijiya ce mai haɗari da kuma faɗa ana yawan samunta ne a Indiya da kuma Kudancin Asia. Ta fi cin ɓeraye a matsayin abinci wanda hakan ya sa ta fi kusa da bil adama a ƙauyuka da birane. Miliyan 5.4Yawan mutanen da aka yi kiyasin macizai na cizo duk shekara 100,000Yawan mutanen da ke mutuwa sakamakon cizon maciji 400,000Yawan mutanen da ke samun nakasa sakamakon cizon maciji Gamsheƙa ta ƙasar Indiya akasari tana kai hari ne da dare kuma tana jawo mutum a rinƙa zubar da jini ta cikin jiki, wanda hakan na buƙatar kulawa ta gaggawa. Binciken wanda aka gudanar tsakanin 2001 zuwa 2014, kashi 70 cikin 100 na mutanen da macizan suka kashe lamarin ya faru ne a jihohi takwas na ƙasar - Bihar da Jharkhand da Madhya Pradesh da Odisha da Uttar Pradesh da Andhra Pradesh (har da Telangana, wadda sabuwar jiha ce) Rajasthan da kuma Gujarat. Masu binciken sun ce masu zuwa gonaki sun fi haɗarin samun sarin maciji musamman a lokaci irin na damina. Sun ce yakamata a rinƙa ilmantar da mutanen wurin kan yadda za su rinƙa zuwa gonaki da kuma irin takalman da za su saka da safar hannu da kuma amfani da fitila domin rage haɗarin sarin maciji. Hukumar Lafiya Ta Duniya ta bayyana cewa sarin maciji abu ne da ya kamata a mayar da hankali kansa a faɗin duniya. Mutum 81,000 zuwa 138,000 ne ke mutuwa sakamakon sarin maciji a duk shekara a faɗin duniya. Kusan yawan irin mutanen nan ninki uku ne kuma ke samun sauƙi bayan sarin macijin da kuma samun naƙasa ta har abada."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55781635", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55781367", "doc1": "ল্যারি কিং - ছয় দশকের অনন্য সাংবাদিক জীবনের অবসান ঘটলো। ছয় দশক ধরে বিস্তৃত সাংবাদিকতার কেরিয়ারে ল্যারি কিং প্রায় ৫০,০০০ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৫ বছর তিনি সিএনএন টিভির জনপ্রিয় ল্যারি কিং লাইভ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন। তিনি লস এঞ্জেলসের সেডার্স-সাইনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে এর আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ল্যারি কিং হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। পাশে বসা ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর। মি. কিং তার কর্মময় জীবনে বহু বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির সাক্ষাতকার নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন লেডি গাগা, ফ্র্যাংক সিনাত্রার মতো জন-নন্দিত গায়ক থেকে শুরু করে দলাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা ও ভ্লাদিমির পুতিনের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। \"৬৩ বছর ধরে রেডিও, টিভি এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় ল্যারি যে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেসব পুরষ্কার পেয়েছেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন সেটাই ব্রডকাস্টার হিসেবে তার অন্য মেধার পরিচয় বহন করে, তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম ওরা মিডিয়ার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সিএনএন টিভিতে তার শেষ অনুষ্ঠানে ল্যারি কিং বলেছিলেন, \" দর্শক আপনাদের কী বলবো জানিনা। ধন্যবাদ ছাড়া কী বা বলতে পারি। গুড বাই না বললেও বলছি, আবার দেখা হবে।\" নিউইয়র্কে ২০০০ সালে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নেন।", "doc2": "An sanar da labarin rasuwarsa ne a shafinsa na Twitter inda aka bayyana cewa ya rasu ne a ranar Asabar. Rahotanni sun nuna cewa fitaccen ɗan jaridar, wanda ya lashe lambobin yabo da dama, ya mutu ne sanadin cutar korona. King ya mutu ne a safiyar Asabar a asibitin Cedars-Sinai da ke birnin Los Angeles, kamar yadda kamfaninsa na watsa shirye-shiryensa ya bayyana a wata sanarwar ta'aziyyar da ya aika ga iyalansa. A farkon watan nan ne rahotanni suka bayyana cewa King ya kamu da korona, abin da ya sanya aka kwantar da shi a asibiti a sashen da ake sanya wa mutane iskar taimakawa wajen yin numfashi. A shekaru sittin da ya kwashe da ya kwashe yana aikin jarida, wadanda suka hada da shekaru 25 da ya yi yana gabatar da sirye-shirye a CNN, King ya yi hira da manyan 'yan siyasa da taurarin fina-finai da 'yan wasan kwallo. King ya soma shahara ne a shekarun 1970 inda ya rika gabatar da shirinsa mai suna The Larry King Show, oa gidan talbijin mai zaman kansa na Mutual Broadcasting System. Daga bisani ya rika gabatar da shirin Larry King Live a gidan talbijin na CNN, daga shekarar 1985 zuwa 2010, inda ya roka hira da fitattun mutane. Ya kwashe fiye da shekaru 20 yana wallafa makala da yin sharhi a jaridar USA Today. Biyu daga cikin 'ya'yansa biyar sun mutu a shekarar da ta wuce - daya sakamakon ciwon zuciya, dayan kuma sanadin cutar daji. A shekarar 1988 ya kafa gidauniyar Larry King Cardiac Foundation, wadda ke taimaka marasa galihu da ke fama da ciwon zuciya da kudin neman magani."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55744780", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55913262", "doc1": "ওভাল অফিসে জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সময় তিনি টুইটে বলেন, \"আমাদের সামনে যে সংকট রয়েছে সেটি সামাল দিতে অপচয় করার মতো কোন সময় নেই।\" করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানকে ঠিক উল্টে দিয়েছে। বুধবার সকালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর মি. বাইডেন ওভাল অফিসে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে শপথ অনুষ্ঠান বেশ আলাদা হয়েছে। শপথ ও অন্য অনুষ্ঠানে মাত্র হাতে গোনা কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, \"গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।\" ট্রাম্প শাসনের অশান্ত বছরগুলোর পর একতার বার্তা দিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি \"সব আমেরিকানদের\"- এমনকি যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদেরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তার তিন জন পূর্বসূরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: বারাক ওবামা- যার অধীনে আট বছর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন মি. বাইডেন, বিল ক্লিনটন এবং জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং মি. ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উপস্থিত ছিলেন। মি. বাইডেনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমালা হ্যারিস। এই পদে দায়িত্ব নেয়া প্রথম নারী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান-আমেরিকান ব্যক্তিও তিনি। গত ৬ই জানুয়ারি ট্রাম্পের সহিংস সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনের দখল নেয়ার ঘটনার পর অনুষ্ঠানকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মি. বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, মিস হারিস ও তার স্বামী ডো এমহফের সালে পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ দিয়ে হেটে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। সেসময় বন্ধু এবং সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান তারা। পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ হয়ে হেঁটে হোয়াইট হাউসে যান প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি। শপথ অনুষ্ঠানে লেডি গাগা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সেই সাথে ছিলন জেনিফার লোপেজ এবং গার্থ ব্রুকস। আমেরিকার প্রথম ন্যাশনাল ইয়ুথ পয়েট লরেট অ্যামান্ডা গোরম্যান তার লেখা দ্য হিল উই ক্লাইম্ব নামে কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আরো পড়ুন: লিংকন মেমোরিয়ালে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক কনসার্টে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন টম হ্যাংকস, ব্রুস স্প্রিংস্টিন, জন লিজেন্ড, জন বন জোভি, জাস্টিন টিম্বারলেক এবং ডেমি লোভাটো। বাইডেন কী কী নির্বাহী আদেশে সই করেছেন? নির্বাহী আদেশের বর্ণনা করে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন \"শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোই সংশোধন করবেন না বরং তিনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।\" করোনাভাইরাস মহামারি সামাল দিতে ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সব ধরণের কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। মহামারির বিষয়ে পদক্ষেপের সমন্বয় করতে একটি আলাদা দপ্তর গড়ে তোলা হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু করা প্রক্রিয়া স্থগিত করা হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা দিতে চান মি. বাইডেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর সাথে আবারো যুক্ত হওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফানি দুজারিক জানান, মহাসচিব বলেছেন যে, সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এটি \"অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ\"। মি. বাইডেন আরো জানিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্বাহী আদেশ সই করেছেন তিনি। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প। বিতর্কিত কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল অনুমোদন বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। কিস্টোন পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ফোন করার পর এ বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন মি. বাইডেন। বেসরকারিভাবে অর্থায়নে থাকা পাইপলাইনটির মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানিটি কানাডার আলবার্টা থেকে নেব্রাস্কায় দৈনিক আট লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহন করতো। ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠায় আনা একটি বিলে ভেটো দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু সেটি উল্টে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিবাসনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা জরুরি প্রস্তাবনা বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই জরুরি প্রস্তাবনার অধীনে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো বর্ণ এবং লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক। হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। বাইডেন প্রেসিডেন্সির আওতায় প্রথম অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বার্থকে প্রচার করবেন নাকি \"সাদামাটা সত্য\" উপস্থাপন করবেন। এর উত্তরে তিনি বলেন, \"মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার\" সাথে তিনি \"সরকারে স্বচ্ছতা এবং সত্য ফিরিয়ে আনতে\" প্রেসিডেন্টের সাথে কাজ করবেন।", "doc2": "Iyakar Amurka da Mexico Ya sanar da ƙirƙirar wani kwamiti don sake haɗa jariran da gwamnatin Trump ta raba su da iyayensu a kan iyakar Amurka da Mexico. Da yake sanya hannu kan umarnin a Fadar White House, Mista Biden ya ce za su warware ''Rashin imani gwamnatin da ta shude'' A ranar Talata, majalisar dattijan Amurka ta tabbatar da wani lauya ɗan asalin Cuba, Alejandro Mayorkas, a matsayin Sakataren hukumar tsaron Cikin gida ta Homeland. Ya zama bakon haure na farko da ya jagoranci hukumar da ke kula da batutuwan shige da fice da kan iyaka. Kuri'ar da aka kaɗa don tabbatar da shi ta nuna irin farraƙun dake akwai tsakanin sanatocin Republican da Democrat, don yawancin ƴan Republican basu yarda da shi ba. Wane ne Joe Biden? An tsare dubban iyaye da yara da ke shiga kasar ta kan iyaka, waɗanda da yawansu ke tserewa rikici a ƙasashen Honduras da El Salvador da kuma Mexico. A yayin yaƙin neman zaɓensa a 2016, shugaba Donald Trump ya mayar da hankali sosai a kan alƙawuran harkokin tsaro a iyakar Amurka. Ya cika alƙawarin da ya yi na gina katanga a kan iyakar kasar da kudancin Mexico, ko da yake bata kai irin wadda ya yi alƙawari ba, sannan ba Mexico ce ta biya kuɗin aikin ba kamar yadda ya alƙawarta. Wace ce mataimakiyar shugaban Amurka mai jiran gado Kamala Harris?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40490446", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51985566", "doc1": "চলতি বছর ১১টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউহাপ নিউজ এজেন্সি জানায়, স্থানীয় সময় ৯টা ৪০ মিনিটে উত্তর পিয়ংগান প্রদেশ থেকে এই মিসাইল ছোঁড়া হয়। টোকিও বলছে, জাপান সাগরের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হেনেছে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ওই অঞ্চলে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় প্রায়৪০ মিনিট উড়ে ৯৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার পর জাপান সাগরে পতিত হয়েছে। যদিও একদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, চলতি বছর উত্তর কোরিয়া যে কয়টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে আজকেরটি ১১তম। গত মে মাসে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। আরো পড়তে পারেন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পৃথিবীর ক্ষতি করবে: স্টিফেন হকিং ফরহাদ মজহার 'স্বেচ্ছায়' বাড়ি ছেড়েছেন: পুলিশ মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত ভবনের সন্ধান মিললো মেক্সিকোতে", "doc2": "An harba makaman ne daga Lardin Pyongan ranar Asabar zuwa tekun Japan. Amurka da China sun nemi a koma teburin tattaunawa kan maganar kawo karshen shirin nukiliya da kawo karshen kera makamai masu linzami. A ranar asabar ne rundunar sojin Koriya ta Kudu ta ce tana bibiyar lamarin ko da za a samu karin wasu makaman da za a harba. Japan ta tabbatar da dirar makami mai linzami a wajen ruwan da ke yankin tattalin arzikinta na musamman. Lamarin na zuwa ne yayin da Koriya ta Arewa ta sanar da gudanar da wani babban taro da majalisar kasar ranar 10 ga watan Afrilu. Sai dai masu sharhi sun ce taron zai hada manyan jagororin kasar su 700 a waje guda. Wata ma'abociyar dandalin sada zumunta na Twitter Rachel Minyoung ta ce taron zai kasance dama ga Koriya ta Arewa ta ba da tabbaci game da kokarin da take na magance coronavirus. Kawo yanzu dai ba a samu bullar coronavirus a Koriya ta Arewa ba amma wasu kwararru na bayyana kokwanto. Koriya ta Arewa na da iyaka da China inda cutar ta samo asali da kuma Koriya ta Kudu inda aka samu barkewar cutar sosai. Wani babban jami'in sojin Amurka a makon da ya gabata ya ce yana da \"tabbaci\" cewa cutar ba ta bulla a Koriya ta Arewa ba. Kasar dai ta killace kusan baki 380 - mafi yawansu jakadu da ma'aikata a Pyongyang - a harabar gidajensu na kusan wata daya. An kuma dage takunkuman da aka kakaba a farkon watan nan na Maris."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50991319", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/50989669", "doc1": "তিনি বলেন, ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সোলেইমানির \"সন্ত্রাসের রাজত্বের অবসান\" হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানে কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন সোলেইমানি। ইরান অঙ্গীকার করেছে যে, তার মৃত্যুর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে \"কঠোর প্রতিশোধ\" নেয়া হবে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনাকে নতুন করে উস্কে দিয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, এর সতর্কতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে। এরই মধ্যে, ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, সোলেইমানিকে হত্যার ২৪ ঘণ্টা পরই দেশটিতে আরো একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ইরাকের একজন সামরিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই বিমান হামলায় ৬ জন মারা গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ইরাকের মিলিশিয়াদের একটি গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। ওই এলাকায় লড়াইরত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি বলেছেন? ফ্লোরিডায় নিজের মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ট্রাম্প শুক্রবারের হামলার বিষয়ে বলেন: \"যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি ত্রুটিহীন ও নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়েছে যাতে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছে।\" আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যা: এখন কেন এই ঝুঁকি নিলেন ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন তিনি বলেন: \"সোলেইমানি আমেরিকার কূটনীতিক এবং সামরিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই বাজে ধরণের হামলার পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু আমরা তার সে কাজ ধরে ফেলেছি এবং তাকে হত্যা করেছি।\" ইরান কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে? সোলেইমানির মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেন: \"স্রস্টার উদ্দেশ্যে তার যাত্রা, তার পথ বা মিশনকে থামাতে পারবে না, অপরাধীদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে যারা তার এবং অন্য শহীদদের রক্তে হাত রাঙিয়েছে।\" জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে, ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি বলেন যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তেহরানের। কাশেম সোলেইমানি কে ছিলেন? ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানিকে। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্স সরাসরি আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির কাছে জবাবদিহি করতো। সেখানে এর নেতৃত্বে থাকা সোলেইমানিকে বীরত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হতো। কুদস বাহিনীকে তার ২১ বছরের নেতৃত্বের সময় ইরান লেবাননে হেজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ইরান-পন্থী চরমপন্থিদের সহায়তা দিয়েছে; ইরাক এবং সিরিয়ায় সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে; সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে।", "doc2": "Da wayewar garin Jum'a ne Amurka ta kaiwa kwamandan hari a tashar jirgin saman birnin Bagdaza na Iraqi Da wayewar garin Juma'a ne Amurkar ta kai wa kwamandan hari a filin jirgin saman birnin Bagadaza na Iraqi. A wani jawabi da ya gabatar a tashar talabijin, Mr Trump ya ce Amurka ta yi nasarar kashe dan ta'adda lamba daya a duniya. A cewarsa Janar Soleimani ya sha kitsa hare haren ta'addanci irin wadanda ya sha kitsawa shekaru 20 da su ka gabata. To sai dai a nata bangaren Iran ba ta yi wata wata-wata ba wurin sanar da duniya cewa Amurka za ta yi da na sanin aikata abin da ta kira harin ta'addanci, kuma za ta zabi lokacin da take ganin ya dace don mayar da martani. Babu tantama kisan Janar Soleimani zai kara cakuda zaman da dama na doya da manja ne tsakanin Iran da Amurka kuma zai kara jefa yankin Gabas ta Tsakiya cikin rashin tabbas. Haka ma kisan nasa ya haifar da tsadar man fetur a duniya. Janar Qassem Soleimani Tuni kawayen Amurkar a yankin da suka hada da Saudiyya da Bahrain suka fara kiraye kirayen zaman lafiya. To sai dai duk da ikirarin mayar da martanin da ba a taba ganin irinsa ba a tarihi da Iran din ta yi, masana na ganin gwamnati a Tehran na da zabin takaita martanin, matsawar ba ta shirya fito na fito ba gadan gadan da Amurka. Yanzu dai duniya ta zuba ido don ganin ta inda Iran za ta fara, a shirinta na mayar da martani kan kisan babban kwamandanta da a baya shugabannin Amurka da dama suka ji tsoron tabawa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55170805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55170182", "doc1": "সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর ওই ব্যক্তি দেশটিতে 'লাভ-জিহাদ' নামে বিয়ের মাধ্যমে হিন্দু মেয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধে যে নতুন আইন হয়েছে, তার অধীনে প্রথম গ্রেপ্তারের ঘটনা এটি। সম্প্রতি হিন্দু-মুসলিম বিয়ে বন্ধ করার জন্য দেশটিতে ২৪শে নভেম্বর দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জামিন অযোগ্য--এমন বিধান রেখে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার একটি নতুন আইন পাস করে। সমালোচকেরা আইনটিকে ইসলামোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও আরো চারটি রাজ্যে 'লাভ-জিহাদ' বিরোধী আইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে। বুধবার উত্তর প্রদেশের বারিলি জেলার পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি টুইটারে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে। যে নারীকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল, তার বাবা বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, তিনি পুলিশে অভিযোগ করেছেন, কারণ ওই ব্যক্তি তার মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল, এবং হুমকি দিচ্ছিল। আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতে মুসলমান ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বছরের শুরুতে তিনি অন্য একজন পুরুষকে বিয়ে করেন। পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, এক বছর আগে ওই নারীর পরিবার ওই মুসলমান ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেছিল। কিন্তু পরে ওই নারী ফেরত এসে যখন বলেন যে তাকে অপহরণ করা হয়নি, তখন মামলা বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ, এবং 'ওই নারীর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই'। লাভ-জিহাদ বিরোধী আইনটি কী? 'বলপূর্বক' বা 'জালিয়াতি' করে ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করার জন্য ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তর প্রদেশ নভেম্বরে এই আইন পাস করে। অর্ডিন্যান্সটিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ধর্মান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই বিয়ে 'শূন্য' বা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। যারা সেই ধর্মান্তর করাবেন, সেই দোষী ব্যক্তিদের আর্থিক জরিমানা ও সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হবে। আরো পড়তে পারেন: 'লাভ জিহাদ' : যোগীর আনা অর্ডিন্যান্সের তুলনা হিটলারের আইনের সঙ্গে ভারতে 'লাভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে আইন তৈরির উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে? ভারতে হিন্দু নারীর মুসলিম স্বামীদের হত্যার হুমকি তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' এর বিরুদ্ধে ভারতে আইন করা হচ্ছে অর্ডিন্যান্সটিকে সাধারণভাবে 'লাভ-জিহাদ বিরোধী' আইন বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে - যদিও লাভ জিহাদ শব্দ-বন্ধটি অর্ডিন্যান্সের খসড়াতে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। ভারতে মুসলিম যুবকরা যখন কোনও হিন্দু মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করতে যান, সেটাকে বিজেপি ও দেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ব-বাদী গোষ্ঠী অনেকদিন ধরেই 'লাভ জিহাদ' বলে বর্ণনা করে আসছে। এই মূহুর্তে মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং আসামও 'লাভ-জিহাদ' ঠেকানোর এই আইন পাসের পরিকল্পনা করছে। এই সব ক'টি রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, এবং তাদের বিরুদ্ধে মুসলমান-বিরোধী সেন্টিমেন্ট স্বাভাবিকীকরণের অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর।", "doc2": "Ana ta shan suka game da fushin da wannan dokar da ta ɓatawa mutane rai Shi ne mutumin farko da aka kama ƙarƙashin wannan doka da ke shirin kama masu \"soyayya don jihadi\" - wani lafazi da masu tsattsauran ra'ayin addinin Hindu ke zargin mazajen Musulmi da su domin auren matansu. Wannan doka ta janyo ce-ce-ku-ce, abin da masu suka suka kira nuna ƙin jinin Musulunci (Islamophobic). A ƙalla wasu jihohi huɗu na Indiya sun fara ƙaddamar da wannan ƙudurin doka. 'Yan sanda Uttar Pradesh sun tabbatar da kamun a shafinsu na Twitter a ranar Laraba. Baban matar ya shaida wa BBC Hindi cewa ya shigar da ƙarar ne saboda matsawa yarinyar da mutumin ya yi tare da yi mata barazana. An yi zargin cewa mutumin yana soyayya da matar ne sai ta yi aure da wani mutum a farkon wannan shekara. 'Yan sanda sun faɗa wa BBC cewa iyalan matar sun shigar da ƙarar ne suna zargin an sace yarinyarsu shekara ɗaya baya, amma an yi watsi da ƙarar ne bayan an gano yarinyar kuma ta musanta zargin. Bayan an kama shi a ranar Laraba, an aike da shi gidan yari na kwana 14, sai dai ya shaida wa manema labarai cewa bai aikata laifin komai ba kuma \"ba shi da alaƙa da matar\". Hukuncin dokar dai shi ne zaman gidan yari na shekara 10, kuma ba a bayar da belin laifin. Mecece dokar \"soyayya don jihadi\"? A watan Nowamba, jihar Uttar Pradesh ita ce ta farko da ta fara amincewa da ƙudurin doka kan \"Tilastawa\" ko kuma \"Yaudara\" da sunan sauya wa mutum addini. Bai zama dole ta wuce jihohi huɗu ba - Madhya Pradesh da Haryana da Karnataka da kuma Assam - kuma dukansu suna buƙatar gabatar da doka kan \"soyayya don jihadi\". Duka waɗannan jihohi biyar jam'iyyar BJP mai mulki ce ke jagorantarsu, waɗanda ake zargi da kafa dokar ƙin Musulmai. Masu suka sun kira wannan doka ta cin zarafi, wasu na nuna damuwa kan cewa dokar za ta iya janyo ana cin zarafin mutane, yadda mutane ke amfani da soyayyar jihadi a matsayin wani ikirarin laifi, wanda a hukumance ba a yarda da shi ba. Masu sukar jam'iyyar BJP sun ce matsalar addini na ƙaruwa tun lokacin da Firaminista Narendra Modi ya karɓi mulki a 2014. Tun a baya dama a kan tantance auren Musulmai da 'yan addinin Hindu amma wanda ake yi a bayan nan ya ɗauki wani salo na daban."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52005868", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-52423288", "doc1": "বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ফেরিতে ওঠার আগে হাত পরিষ্কার করানো হচ্ছে যেভাবে দ্রুত এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা মানুষের মধ্যে এতটাই ভীতির সঞ্চার করেছে যে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক মাধ্যমে নানা উপদেশ পরামর্শ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং মানুষও মরীয়া হয়ে এসব পরামর্শ মানতে শুরু করেছে। কিন্তু এসব পরামর্শ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হচ্ছে না। বিবিসির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিভাগ 'রিয়ালিটি চেক' সংক্রমণ ঠেকানোর এরকম কয়েকটি দাবি পরীক্ষা করে দেখেছে। ১. নি:শ্বাস বন্ধ করে পরীক্ষা দাবি করা হচ্ছে আপনি যদি ১০ সেকেণ্ড নি:শ্বাস বন্ধ করে থাকেন এবং সেসময় যদি আপনি কোন কষ্ট অনুভব না করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুসে কোন ফাইব্রোসিস নেই। অর্থাৎ আপনার ফুসফুসের টিস্যু বা কলায় কোন ক্ষতি হয়নি, তা স্বাভাবিকের তুলনায় মোটা হয়ে যায় নি। সোজা কথায় আপনার ফুসফুসে সংক্রমণ নেই। এ তথ্য আদৌ সঠিক নয়। কারণ ফুসফুসে ফাইব্রোসিস হয়েছে কিনা তা নি:শ্বাস বন্ধ করে পরীক্ষা করা যায় না। হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে বসেই স্যানিটাইজার তৈরির প্রণালী ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে তাছাড়া, ফাইব্রোসিস কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোন উপসর্গ নয়। মনে রাখবেন কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত হলে তার প্রধান উপসর্গ হচ্ছে খুবই বেশি জ্বর এবং সঙ্গে একনাগাড়ে কাশি। ২. ঘরে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রণালী হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘরে বসেই স্যানিটাইজার তৈরির যেসব প্রণালী ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে সেগুলো থেকে সাবধান। কোন আসবাবপত্র বা টেবিল বা যেসব জিনিসে আপনি হাত দিচ্ছেন - সেগুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য মোছার যেসব বস্তু পাওয়া যায় সেগুলো আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ৩. জীবাণুনাশক ভডকা? ইন্টারনেটে এমন দাবি করা হচ্ছে যে মদ্যপানীয় 'ভডকা' জীবাণুনাশকের কাজ করবে। আদতেই তা নয়। ভডকা-তে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল নেই যা জীবাণু মারার জন্য প্রয়োজন। ৪. কোন কোন ক্ষেত্রেকরোনাভাইরাসের আয়ু এক মাস অনলাইনে ছড়ানো খবরে দাবি করা হচ্ছে কোন সারফেসের ওপর বা যে কোন জায়গার ওপর ভাইরাস এক মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকে। কোন কঠিন বস্তু থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ৭২ ঘন্টা পর ব্যাপকভাবে কমে যায়। এটা প্রায় অসম্ভব। কারণ, সার্স বা মার্স-এর মত করোনাভাইরাসে নিয়ে আগে যেসব গবেষণা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, কঠিন কোন জায়গার ওপর যেমন ধাতুর তৈরি, কাঁচ বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি কোন সারফেসের ওপর করোনাভাইরাসের জীবাণু বেঁচে থাকে প্রায় দু ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ নয় দিন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সরকার বলেছে কোন কঠিন বস্তু স্পর্শ করলে যেমন টেবিলের ওপর, হ্যাণ্ড রেলিং বা এধরনের অন্য কিছু, সেখান থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি ৭২ ঘন্টা পর ব্যাপকভাবে কমে যায়। ৫. গোমূত্র পান ভারতে কিছু হিন্দু গোষ্ঠি মনে করে গোমূত্রের এমন কিছু চিকিৎসা গুণ রয়েছে যা করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গোমূত্রের এমন কোন গুণ নেই। গোমূত্র কোভিড নাইনটিন ঠেকাতে সক্ষম এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই তারা বলছেন গোমূত্র যেমন ক্যান্সার সারায় না, তেমনি গোমূত্র কোভিড নাইনটিন ঠেকাতে সক্ষম এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই। মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় সে বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাত ধোয়া বা পরস্পরের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার মত কিছু নির্দেশাবলী জারি করেছে। কাজেই সবচেয়ে ভাল পরামর্শ হলো: ভাল করে ঘন ঘন হাত ধোয়া, আর সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস", "doc2": "An fara wallafawa ranar 22 ga watan Afrilu. Za a dinga sabunta shi kullum. Yawan masu cutar a Amurka ya nunka sau hudu fiye da sauran kasashe. Wannan taswirar ta kasa na nuna yadda annobar ta yadu a duniya tun farkon barkewarta a China a watan Disambar 2019. Mutum nawa ne suka mutu? A karshen shekarar 2019 ce cutar mai alaka da numfashi ta fara barkewa a birnin Wuhan na China. A hankali take yaduwa a kasahsen duniya da dama sannan yawan wadanda suke mutuwa na ta karuwa. Duba wannan teburin na kasa don ganin bayanan alkaluman cutar a fadin duniya. bayanai a fayyace *A cikin mace-mace 100,000 Sabunta na'urarku don ganin cikakken bayanin Ana sabunta wannan bayanin akai-akai amma mai yiwuwa ba zai nuna jumullar alkaluman baya-bayan nan na kowace kasa ba. ** Bayanan da suka gabata na sabbin masu dauke da cutar na kwana uku na tsaka-tsaki ne. Saboda bibiyar adadin masu dauke da cutar, ba za a iya fitar da tsaka-tsaki ba na wadannan bayanai. Bayanai: Jami'ar Johns Hopkins da hukumomin lafiya Lokaci na baya-bayan nan da aka sabunta alkaluma 4 Disamba, 2020 10:27 Safiya GMT+1 Kwayoyin cuta na 'virus' na sauya fasali ko yaushe, amma sauye-sauyen da ke faruwa ga asalin kwayoyin halittarsu ba shi da yawa. Ana sa rai kwayoyin cuta su sauya su rage karfi nan gaba, amma babu tabbacin haka. Fargabar ita ce idan coronavirus ta sauya, garkuwar jiki ba za ta gane ta ba kuma riga-kafinta ba zai kare mutane daga kamuwa da ita ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44485121", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-44467587", "doc1": "রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ কিন্তু এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৫ই জুলাই কোন দলটি জয়ী হবে সেটি কি আমরা এখনই অনুমান করতে পারি? পরিসংখ্যান, ট্রেন্ড, অতীত টুর্নামেন্টের ধরন এসব বিশ্লেষণ করে বিবিসি স্পোর্টস ধাপে ধাপে ৩১টি দেশকে বাদ দিয়ে একটি দেশকে বেছে নিয়েছে শেষ পর্যন্ত যারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। তাদের হিসেবে ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল জিততে হলে বিজয়ী দলকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে: থাকতে হবে সেরা দলগুলোর তালিকায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে যখন ৩২টি দেশ খেলতে শুরু করে তখন থেকে পরবর্তী সবকটি টুর্নামেন্টে এমন দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যেটি সেরা দলের তালিকাতেই ছিল। এই তালিকার বাইরে থেকে যে দলটি সবশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেটি ছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে। আর্জেন্টিনাকে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনা আর তার 'ঈশ্বরের হাত দিয়ে' করা গোল। এই একটি মাত্র বিবেচনা থেকে শুরুতেই ২৪টি দেশকে সম্ভাবনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো। রইলো বাকি আট। স্বাগতিক দেশ হওয়া যাবে না গত ৪৪ বছর ধরে এমন দেশেই বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেগুলো সেরা দলের তালিকায় রয়েছে। একারণে বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেল রাশিয়া। বিশ্ব ফুটবলে তাদের র‍্যাংকিং ৬৬, তাই তারা সেরা আটের ভেতরে থাকতো না, যদি তারা স্বাগতিক দেশ না হতো। একটা সময় ছিল যখন স্বাগতিক দেশগুলোই চ্যাম্পিয়ন হতো। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর ১৯৩০ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম ১১টির পাঁচটিতেই স্বাগতিক দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে গত নয়টি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক দেশ মাত্র একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেটি ১৯৯৮ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। তার অর্থ হলো স্বাগতিক দেশ হওয়া এখন আর সাফল্যে পৌঁছানোর রাস্তা বা চাবিকাঠি নয়। যেমন চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯০ সালে স্বাগতিক দেশ হয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইতালি, ২০০৬ সালে স্বাগতিক দেশ ছিল জার্মানি, কিন্তু সেবারেও শিরোপা তাদের ঘরে উঠেনি। চার বছর আগে বিশ্বকাপ হয়েছিল ব্রাজিলে, সেবারও দেশটি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ফলে রাশিয়া বাদ পড়ে গেল। এখন বাকি রইলো সাতটি দেশ। কম গোল খেতে হবে যখন থেকে ৩২টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তারপর থেকে যে পাঁচটি দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা কেউই তাদের সাতটি ম্যাচে চারটির বেশি গোল খায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনার তালিকায় যে সাতটি দেশ রয়ে গেছে, বাছাই পর্বের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল রক্ষণভাগ পোল্যান্ডের। প্রতি ম্যাচেই তারা ১ দশমিক ৪টি করে গোল হজম করেছে। জার্মানি ও পর্তুগাল খেয়েছে প্রতি ম্যাচে শূন্য দশমিক ৪ গোল, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স শূন্য দশমিক ৬, ব্রাজিল শূন্য দশমিক ৬১ এবং আর্জেন্টিনা শূন্য দশমিক ৮৮ গোল। ফলে পোল্যান্ড বাদ। বাকি রইলো ছ'টি দেশ। হতে হবে ইউরোপের বিশ্বকাপ বিজয়ীরা শুরু থেকেই হয় ইউরোপের কিম্বা দক্ষিণ আমেরিকার। খুব বেশি দিন আগেও ইউরোপের দেশগুলো বিশ্বকাপে বিজয়ী হতে পারেনি কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাতে স্পেনের সাফল্য এবং ব্রাজিলে জার্মানির জয় গতিপথ বদলে দিয়েছে। ইউরোপে আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে বেশিরভাগ সময়েই ইউরোপের দেশগুলোই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এরকম ১০টি বিশ্বকাপে মাত্র একবার ইউরোপের বাইরের কোন দেশ শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু সেজন্যে আপনাকে ফিরে যেতে হবে দূর অতীতে- ১৯৫৮ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। ফলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বাদ দিলে বাকি রইলো চারটি দেশ- ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং পর্তুগাল। থাকতে হবে সেরা গোলরক্ষক আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে গোলদাতারাই বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেয়। কিন্তু ১৯৮২ সালের পর থেকে মাত্র দু'বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দলের কোন খেলোয়াড় সেরা গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট পেয়েছেন- ২০০২ সালে ব্রাজিলের রোনাল্ডো এবং ২০১০ সালে স্পেনের ডাভিড ভিয়া। দেখা গেছে, বিশ্বকাপে জয়ী হওয়াটা অনেক বেশি নির্ভর করে গোলরক্ষকের পারফর্মেন্সের উপর। গত পাঁচটি টুর্নামেন্টের চারটিতেই সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভ পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল থেকেই। এখন যে চারটি দেশ বাকি আছে তাদের মধ্যে বর্তমানের সেরা গোলরক্ষকরা হচ্ছেন জার্মানির মানুয়েল নয়ার, ফ্রান্সের উগো লরিস এবং বেলজিয়ামের থিবাত কোর্তোয়া। এই হিসেবে বাদ পড়ে যাচ্ছে পর্তুগাল। এখন ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও জার্মানি- এই তিনটি দেশ বাকি রইলো। অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যেবার থেকে বিশ্বকাপে ৩২টি দেশ খেলতে শুরু করে সেই ১৯৯৮ সালের পর থেকে দেখা গেছে, সাফল্যের পেছনে একটা বড়ো ভূমিকা রাখে অভিজ্ঞতা। সেবছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। তখন ফরাসী দলের প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা ছিল গড়ে ২২.৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার। চার বছর আগে জার্মানি যখন চ্যাম্পিয়ন হলো তখন তাদের খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের গড়ে ৪২.২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। ২০০২ সালে ব্রাজিলের ফুটবলারদের এই গড় ছিল ২৮.০৪। ইটালির ২০০৬ সালে ছিল ৩২.৯১ এবং ২০১০ সালে স্পেনের এই হার ছিল ৩৮.৩০। এখনও যে তিনটি দেশ রয়ে গেছে তার মধ্যে ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে কম। তাদের একেকজন ফুটবলার গড়ে ২৪.৫৬টি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। জার্মানির ৪৩.২৬ এবং সবচেয়ে বেশি বেলজিয়ামের- ৪৫.১৩। ফলে ফাইনাল হচ্ছে বেলজিয়াম ও জার্মানির। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে না বিশ্বকাপে জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা খুব কঠিন। একমাত্র ব্রাজিলই ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে পরপর দু'বার বিশ্বকাপ জিতেছে। গত চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিতেই আগের বারের চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে গেছে। সাম্প্রতিক বিশ্বকাপগুলোতে জার্মানির পারফরমেন্স দারুণ। গত ন'টি টুর্নামেন্টে (পশ্চিম জার্মানি তিনবারসহ) তারা দু'বার জিতেছে। আরো তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে। এবং আরো দুটো বিশ্বকাপে হয়েছে তৃতীয়। তবে, যখন রাশিয়াতে আবার বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গ আসে তখন ইতিহাস জার্মানির বিপক্ষে। ফলে, বুঝতেই পারছেন কারা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলে- বেলজিয়াম। যদি না অন্য কেউ শিরোপা ছিনিয়ে না নেয়।", "doc2": "Kasashe 32 za su fafata a gasar cin kofin duniya Amma ta yaya za ka yi hasashen tawagar da za ta dauki kofin duniya a birnin Moscow ranar 15 ga watan Yuli? Ta hanyar nazari kan salo da alkaluma da kuma tarihi na gasar da aka gudanar a baya, sashen wasanni na BBC ya zubar da kasashe 31 inda ya zabi kasa daya da ya yi hasashen za ta lashe kofin gasar. Ga abubuwan da suka wajaba kasasashe da suka lashe gasar cin kofin duniya su yi... Matsayin kasashe Tun da aka kara yawan kasashen da ke buga gasar kofin duniya zuwa 32 a shekarar 1998, kusan dukkan kasashen da suka ci gasar sun kasance kasashe ne da aka ware. Bugu da kari kasa ta karshe wadda ta ci gasar ba tare da an ware ta ba ta yi hakan ne a shekarar 1986, a lokacin da Ajantina ta dauki kofin ta hanyar kwallon da Diego Maradona ya ci da hannu. Ta wannan hanyar mun cire tawagogi 24 daga cikin gasar, lamarin da ya bar mu da tawagogi takwas. Kasashen Turai za su fi taka rawar gani - Hasashe Rashin kasancewa mai masaukin baki Rasha ta ci arzikin al'adar gasar ta tsawon shekara 44 inda ake ware kasa mai masaukin baki. Kasancewa kasa ta 66 a cikin jerin kasashen da suka fi iya taka leda a duniya, ba za ta kasance daya daga cikin kasashe takwas da ke kan gaba idan ba a kasarta ake gasar ba. Karbar bakuncin gasar kofin duniya ba ya cikin hanyoyin da ake ganin za su kai ga kasa ga nasara kamar yadda tarihi ya nuna. Gasa sha daya na farko da aka gudanar, daga shekarar 1930 zuwa shekarar 1978, kasashen da suka karbi bakunci gasar biyar ne suka yi nasara. Tun wancan lokacin, a gasar tara da aka yi a baya sau daya kasar da ke karbar bakunci ta yi nasara - wato gasar da Faransa ta karbi bakunci a shekarar 1998. Ya kasance abu mai wuya ga Amurka da Japan da Koriya ta Kudu da kuma Afrika ta Kudu su ci gasar, a gasar Italiya 1990 da Jamus 2006 da kuma kasar Brazil a shekara hudun da suka wuce dukkacinsu karbar bakuncin gasar bai ba su damar lashe gasar ba. Za a fitar da Rasha a wasan dab da kusa da karshe Iya tsare gida da kyau A lokacin da ake buga gasar tsakanin kasashe 32, babu daya daga cikin zakaru biyar na wannan lokacin da aka ci fiye da kwallaye biyar cikin wasanninsu biyar. Idan aka kwatanta kasashe bakwai da suka rage, Poland ce ta fi samun koma baya a tsaron gida. Ma'aunin yawan kwallayen da aka ci Jamus da Portugal ya kai 0.4 a ko wane wasa, ma'aunin Belgium da Faransa kuma shi ne 0.6 a ko wane wasa, Brazil kuma 0.61 a ko wane wasa na Ajantina 0.88 a ko wane wasa. Faransa da Belgium da Jamus da Portugal da Brazil da Argentina za su kai zagayen dab da na kusa da karshe. Hasashe Kasancewa daga Nahiyar Turai Masu cin gasar kofin duniya daga nahiyar Turai da kuma kasashen kudancin Amurka suke fitowa. Sai a baya-bayan nan ne kasashen Turai suka zaburo, amma nasarar Spain a Afrika ta Kudu da kuma Jamus a Brazil ya sauya wannan salon. Akasari wadanda suke karbar bakunci gasar da ake yi a Turai su suke samun nasara. A gasa cin kofin duniya 10 da kasashen Turai suka karbi bakunci, gasa daya ce kawai wata kasa daga wajen nahiyar ta Turai ta ci, kuma sai an koma shekarar 1958 inda Brazil ta ci gasar a Sweden. Faransa da Belgium da Jamus da Portugal za su buga wasan dab da karshe - Hasashe Sai idan kana da kwararren gola Za ka iya tunanin cewa masu cin kwallo ne ke cin gasar cin kofin duniya, amma sau biyu ne kawai aka samu wanda ya ci kyautar zura kwallo ta takalmin zinari a tawagar kasar da ta dauki kofin tun shekarar 1982- Ronaldon Brazil a shekarar 2002 da kuma David Villa na Spain a shekarar 2010. Masu cin kofin duniya sun fi siffantuwa da mai tsaron gidansu, inda ake samu hudu daga cikin wadanda suka ci kyautar gwarzon mai tsaron gida biyar suka kasance 'yan tawagar da suka dauki kofin. Daga cikin kasashe hudun nan da suka rage ba zaka yi mamakin idan daya daga cikin su Manuel Neuer (Jamus) da Hugo Lloris (Faransa) ko kuma Thibaut Courtois (Belgium) ya kasance an fitar da sunansa a matsayin gwarzon mai tsaron gida a wannan lokacin. Abu ne mai wuya a ce mai tsaron gidan Portugal, Rui Patricio, zai ci kyautar gwarzon mai tsaron gida. Faransa da Belgium da Jamus da Portugal za su buga wasan dab da karshe - Hasashe Faransa za ta doke Portugal a matsayin na uku - Hasashe Kasance kwararre Kasashen da suke cin gasar kofin duniya suna ci gaba da zama kwararru, wani salon da ya fara a lokacin da aka fadada yawan kasashen da ke shiga gasar zuwa 32 a shekarar 1998. A wancan lokacin, kasar Faransa da ta dauki kofin ko wane dan wasanta ya taka mata leda kimanin sau 22.77. A shekaru hudun da suka gabata, ko wane dan wasan Jamus ya yi mata wasa sau 42.21. A tsakiyarsu an samu kari a hankali -taka ledar ko wane dan wasan Brazil ya kai 28.04 a shekarar 2002. 'Yan italiya sun taka leda 32.91 gasar a shekarar 2006, Spain kuma sau 38.30 a shekarar 2010. A lokacin da sauran tawagogin ukun suka fitar da sunayen 'yan wasansu, yawan wasannin da ko wane dan wasan Faransa ya haska ya kai 24.56, yayin da na Jamus ya kai 43.26, na Belgium ya kai 45.13. Belgium da Jamus za su buga wasan karshe - Hasashe Kasar da ba ta rike da kofi Yana da wahala kasar da ta ke rike da kofin duniya ta iya kare kofin. Wannan ya kasance haka ne tun lokacin da Brazil ta ci gasar sau biyu a jere tsakanin shekarar 1958 da shekarar 1962. Kuma tun da Brazil ta dauki kofin sau biyu a wancan lokacin, sau biyu ne kawai aka samu mai rike da kofi da ta wuce matakin kusa da dab da na karshe cikin kasashe 13 da suka taba cin kofin. Ajantina a shekarar 1990 da Brazil a shekarar 1998, duk da cewa Brazil ta zama ta hudu a shekarar 1974 a lokacin da matakin rukuni na gasar ya kasance guda biyu kafin wasan karshe. A gasar cin kofin duniya hudu da suka gabata, sau uku aka fitar da kasar da ke rike da kofin a matakin rukuni. Jamus tana da tarihi mai kyau game da kofin duniya a baya bayan nan. A cikin gasa tara da suka wuce - ciki har da ukun da suka yi a matsayin yammacin Jamus- sun ci gasar sau biyu, sun kai ga wasan karshe sau uku kuma sun kasance na uku a gasar sau biyu. Sai dai kuma, idan ana maganar sake cin kofin ne a Rasha, tarihi ba ya tare da su. Saboda haka, bayanin ke nan. Belgium za ta ci kofin duniya. Sai idan wani ya ci kofin wanda kuma abu ne mai yiyuwa. Belgium za ta lashe kofin duniya a Rasha - Hasashen BBC Tasiwrar hoto: Katie Moses da Andrew Park na sashen wasanni na BBC"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51029261", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51029922", "doc1": "ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে। তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে 'অপারেশন শহীদ সোলেইমান'। ইরানের স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা) এই হামলা শুরু হয়। ইরাকের সেনাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ২২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। আল আসাদ ঘাঁটিতে ১৭ টি মিসাইল হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়নি। তবে ইরবিলে যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার সবগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ইরাকে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হবার পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। জবাবে আমেরিকা অবশ্য বলেছিল, ইরাক থেকে সরে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই তাদের নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই সাথে এও বলেছিলেন যে, ইরাক থেকে যদি মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে হয় তাহলে দেশটির ওপর এমন অবরোধ আরোপ করা হবে, যা ইরাক 'আগে কখনো দেখেনি'। এরকম ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইরান। হোয়াইট হাউজ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, 'সব ঠিক আছে'। তিনি সকাল হলেএকটি বিবৃতি দেবেন বলেও তার ওই টুইটে উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, '' ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।'' ২০০৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ইরানের মিসাইল উৎক্ষেপণ -ফাইল ফটো ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ''আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে,'' ইরানের ইরনা নিউজ এজেন্সিতে একটি বিবৃতিতে বলেছে বাহিনীটি। ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে লিখেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবো। ইরানী টেলিভিশনে প্রচারিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দৃশ্য আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? কাসেম সোলেইমানির মৃতদেহ ইরানে, জনতার ঢল সোলেইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে ৫০ জন নিহত", "doc2": "This footage, reportedly of the missile attack, was shown on Iranian state TV Kafar yada labaran Iran ta ce harin na ramuwar gayya ne bayan kisan janar din soji kuma babban kwamandanta Qasem Soleimani da aka kashe a hari ta sama a Bagadaza, bisa umurnin shugaba Donald Trump. Ma'aikatar tsaron Amurka ta ce akalla sansani biyu aka kai wa hari a Irbil da Al Asad. Babu dai wani cikakken bayani game da hare-haren na Iran. Mai magana da yawun fadar White House Stephanie Grisham ta fadi cikin wata sanarwa cewa, \"Mun samu rahotannin hare-hare kan sansanonin Amurka a Iraqi. An sanar da shugaban kasa kuma muna sa ido kan lamarin tare da tuntubar tawagarsa ta tsaron kasa,\" Rundunar dakarun juyin juya halin Iran ta ce harin na ramuwar gayya ne kan kisan Soleimani a ranar juma'a \"Muna yin gargadi ga dukkanin aminnan Amurka, da suka bada sansani domin jibge dakarunta 'yan ta'adda, cewa duk wani yanki da aka fara kitsa hari kan Iran za a kai ma shi hari,\" kamar yadda kamfanin dillacin labaran Iran IRNA ya ruwaito. Ministan harakokin wajen Iran Javad Zarif ya fitar da sanarwa a Twitter, yana cewa harin na kariyar kai ne tare da nesanta harin da nufin kara dagula al'amurra domin abkawa cikin yaki. Shugaba Trump shi ma ya wallafa a Twitter yana jaddada cewa \"komi lafiya lau\", inda ya kara da cewa ba su kai ga tantance ko an samu hasarar rayuka ba. An kai harin ne jim kadan bayan binne Soleimani. An kai hari na biyu Irbil bayan an kai na farko da makamin roka Al Asad, kamar yadda kafar Al Mayadeen ta ruwaito. Tun da farko shugaba Trump ya ce janye dakarun Amurka zai kasance mataki mafi muni ga Amurka. Kalamansa na zuwa bayan wata wasika da rundunar sojin Amurka ta ce an tura bisa kuskure ga Firaministan Iraqi, matakin da majalisar Iran ta amince kan bukatar janye dakarun na Amurka. Amurka tana da yawan dakaru 5,000 a Iraqi. Kisan Soleimani a ranar 3 ga Janairu ya kara tsamin dangantaka tsakanin Iran da Amurka. Miliyoyin Iraniyawa ne suka fito kwansu da kwarkwata domin jana'izar babban kwamandan na Iran da Amurka ta kashe inda suke ta furta kalamai na barazana ga Amurka da kuma Trump Akalla mutum 50 ne suka mutu yayin turmutsutsin jana'izar Soleimani. Iran ta ce harin na ramuwar gayya ne kan kisan kwamandanta Qasem Soleimani"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44638384", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-44632854", "doc1": "৬০ বছর পর বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়লো জার্মানি এবার বিশ্বকাপে এফ গ্রুপে জার্মানি তিনটি খেলা খেলেছে। কিন্তু জিতেছে মাত্র একটিতে। সেই জয়টাও তারা পেয়েছিল সুইডেনের বিরুদ্ধে খেলার শেষ মুহুর্তে ৯৫ মিনিটে গোল করে। আবারও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের গায়ে অভিশাপ আঘাত করলো। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, এটি একবিংশ শতাব্দীর অভিশাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২০০২ সাল পর্যন্ত দুই বার শিরোপাধারীদের টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এর একটি ঘটনা ছিলো ১৯৫০ সালে। তখন ১৯২৮ এর চ্যাম্পিয়ন ইতালি বাদ পড়েছিলো (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ এ বিশ্বকাপ হয়নি)। আর ১৯৬২'র চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ১৯৬৬ সালে বাদ পড়েছিলো পর্তুগাল এবং হাঙ্গেরি থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে। আরো পড়তে পারেন: 'মেসি দলকে শতভাগ দেননা- এমন গুজব সত্য না' ম্যারাডোনা মধ্যাঙ্গুলি কাকে দেখালেন, কেন? বিশ্বকাপ তারকা যেভাবে মাঠের কৃষক হয়ে গেলেন জার্মানির বিদায়ের সময় দর্শক গ্যালারি ২০০২ সালে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে উদ্বোধনী খেলাতেই সেনেগাল এর কাছে গোল খেয়ে ছিটকে পড়েছিল আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। অথচ সেটাই ছিল সেনেগালের প্রথম বিশ্বকাপ। ২০১০ সালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলো। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইতালি গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারলো না। চার বছর পর ২০১৪ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এখন আবার একই ঘটনা ঘটলো। সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মোক্সিকোর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জার্মানি, এটা মানুষের ভাবনায় ছিল না। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেনকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল জার্মানরা। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে শেষমুহুর্তের গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়তে হলো জার্মানিকে। বিশ্বকাপের আগে টানা ৫ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ম্যাচে জয়ী হতে পারেনি। তারাই হারিয়েছে জার্মানিকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সাথে যেন অদৃশ্য এক অভিশাপই লেগে গেছে।", "doc2": "Jamus ce ta lashe gasar cin kofin duniya wadda aka yi a kasar Brazil a shekarar 2014 Koriya ta jefa kwallon farko ne a minti 92 - ta hannun Kim Young-gwon, sai kwallon da Son Heung-min ya ci a cikin minti na shida da aka kara kafin kammala wasan. Kasar Jamus ce take rike da kofin bayan ta lashe gasar da aka yi a kasar Brazil a shekarar 2014. A rukunin F, kasashen Sweden da Mexico ne suka tsallake zuwa gayayen gaba na gasar, yayin da Koriya ta Kudu da Jamus suka fita daga gasar. Rabon da a fitar da Jamus daga gasar a matakin rukuni tun a shekarar 1938, kuma sau hudu kasar ta lashe gasar a tarihi. 'Yan wasan Koriya ta kudu sun yi murna duk da an fitar da su a gasar duniya. Karanta wadansu karin labarai"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56797313", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-56799079", "doc1": "নতুন এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে তো বটেই বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থান ইউয়েফা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা পর্যন্ত চরম নিন্দা জানাচ্ছেন। বাকী ছয়টি ক্লাব হচ্ছে: রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, এসি মিলান ও আতলেটিকো মাদ্রিদ। এই ক্লাবগুলো যে নতুন প্রতিযোগিতার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে সেটি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আয়োজিত হবে। ইএসএল- ইউরোপিয়ান সুপার লিগ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা চালু করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে এবং আরো তিনটি ক্লাব যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরুষ ও নারী দুই বিভাগেই ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরাসরি এই নতুন পরিকল্পনার সমালোচনা করে নিজের টুইটার পাতায় লিখেছেন, এটা ফুটবলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মি. জনসন লেখেন, \"ঘরোয়া লিগের মূলে আঘাত করবে এটা। ভক্তদের শঙ্কায় ফেলবে। এই ক্লাবগুলোর উচিৎ ভক্তদের ও ফুটবল কমিউনিটির কাছে জবাবদিহি করা।\" ফুটবল নিয়ে আরো পড়ুন: লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের সবচাইতে সফল দুটি দল। কী আছে এই সুপার লিগে? এই লিগে থাকবে ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব নাম দিতে যাচ্ছে এখানে। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলবে ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে। প্রতি বছরই অগাস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হবে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হবে। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ক্লাবগুলো। সুপার লিগের ক্লাবগুলো কী বলছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সফলতম দল রেয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ দাবি করছেন, ইএসএল সব স্তরের ফুটবলের জন্যই ভালো। তিনি বলেন, \"চার বিলিয়ন ভক্ত ফুটবলের, এটাই একমাত্র বৈশ্বিক খেলা। আমাদের দায়িত্ব ভক্তদের মনের আশা পূরণ করা।\" নতুন এই লিগের পরিকল্পনায় যুক্ত আছে জুভেন্টাস এবং এসি মিলান জুভেন্টাসের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আনেলি ইউয়েফার নির্বাহী কমিটি এবং ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, \"একটা সংকটের সময় ১২টি ক্লাব একসাথে হয়েছে। ইউরোপের ফুটবল বদলে দিতে দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে আমাদের।\" ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কো-চেয়ারম্যান জোয়েল গ্ল্যাজার বলেন, \"বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এবং খেলেয়াড়রা একসাথে হয়ে মৌসুমজুড়ে খেলবে। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এটি একটি নতুন অধ্যায়। যেখানে বিশ্বমানের খেলা, সুযোগ সুবিধা ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে, যার সুফল ফুটবল পিরামিডের সবাই ভোগ করবে।\" নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবগুলো ইউয়েফা কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পকে 'জঘন্য' আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে যাতে এটি বাস্তবায়ন না হয়। ইউয়েফার সাথে এক বিবৃতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ, রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন, লা লিগা, ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং লেগা সিরি আ। যেখানে বলা হয়েছে, যখন বিশ্বে সবার ফুটবলের স্বার্থে এক হওয়াটা প্রয়োজন তখন কিছু ক্লাব নিজেদের স্বার্থে এমন একটি প্রজেক্ট ভাবলো যা জঘন্য। ফিফা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছয়টি মহাদেশের ফুটবল সংস্থা, অর্থাৎ কনফেডারেশনগুলো এই সুপার লিগের সাথে জড়িত সবগুলো ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া ফুটবল, ইউরোপিয়ান ফুটবল ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বলব থাকবে। এমনকি কোনো ফুটবলার যদি এই সুপার লিগে খেলে তাকে জাতীয় দল থেকেও বাদ দেয়া হতে পারে। \"বিশ্বকাপ খেলতে নাও দেয়া হতে পারে সুপার লিগে খেলা ফুটবলারকে,\"- ফিফা, ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেসব ক্লাব এই প্রস্তাবে একমত হয়নি ইউয়েফা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশেষত ফরাসী ও জার্মান ক্লাবগুলোকে। ইউয়েফার স্টেটমেন্টের শেষ লাইন ছিল, \"যথেষ্ট হয়েছে।\" বরিস জনসন বলেছেন ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর হবে সুপার লিগ ঠেকাতে যা যা হচ্ছে সুপার লিগের আয়োজনের খবরের সাথে সাথে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। বিবিসি স্পোর্টের ধারণা পাচ্ছে যে, এই বৈঠকে সুপার লিগের সাথে যেসব ক্লাবের নাম এসেছে তারা কেউই কোনো সাড়া দেয়নি। ডাচ ক্লাব আয়াক্সের প্রধান নির্বাহী এডউইন ফন ডার সার এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন, বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর মতো ক্লাবগুলোও উপস্থিত ছিল। ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এই সুপার লিগ মডেলের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। বরং এটা ঠেকাতে ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের কথা আছে। সোমবার পরের দিকে এ বিষয়ে আরো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হওয়ার কথা ২০২৪ সাল থেকেই। ইউয়েফা এই সুপার লিগ ঠেকাতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছে। কেন সুপার লিগ নিয়ে এত আপত্তি? প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি বড় ক্লাব এই সুপার লিগের অংশ, সেই প্রিমিয়ার লিগ বলছে এই সুপার লিগ যে কোনো ভক্তের কাছে স্বপ্নভঙ্গের মতো। যে প্রক্রিয়ায় একটি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে এবং সেরা ক্লাবগুলোর সাথে খেলে সেই প্রক্রিয়া এবং কাঠামোই ভেঙ্গে দেবে এই সুপার লিগ। বুন্দেসলিগা অর্থাৎ জার্মান লিগে কোনো ক্লাব চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কারণ জার্মান ফুটবল মডেল অনুযায়ী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ক্লাবের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভক্তদের ভোটের প্রয়োজন হয় জার্মানিতে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল এই পরিকল্পনার ওপর 'পুরোপুরি বীতশ্রদ্ধ'। আমি চল্লিশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্ত এবং আমি এটা নিয়ে প্রচন্ড নাখোশ। নেভিল এই ক্লাবগুলোর মালিকদের 'বেইমান' বলে অভিহিত করে বলেন, \"এটা কেবলই লোভ।\" এই সুপার লিগ ক্লাবগুলোর যে সমর্থকগোষ্ঠী তারাও সুপার লিগের বিপক্ষেই মত দিয়েছেন। লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেন্যাম- সবগুলো ক্লাবের ভক্তরাই অসমর্থন জানিয়েছে এই পরিকল্পনার। 'ঘোরতর বেইমানি' বলছেন তারা।", "doc2": "Kungiyoyin Liverpool da Manchester United su ne ma fi nasara a tarihin kungiyoyin kwallon kafar Ingila. A wani mataki da kungiyoyin kwallon kafar Turai suka dauka, kulob-kulob na Firimiya League za su hade da AC Milan, Atletico Madrid, Barcelona, Inter Milan, Juventus da Real Madrid. Wadanda za su kafa sabuwar gasar ta ESL sun ce kulob-kulob din da za su daukin nauyinta sun amince su samar da \"gasar wasa ta tsakiyar mako\", yayin da sauran kulob-kulob za su ci gaba da yin wasanninsu kamar yadda suka saba. Kungiyar ta ce tana da aniyar kaddamar da kakar wasan da ta ce za a fara ba tare da bata lokaci ba, tare da cewa suna sa ran kulob uku za su shigo ciki nan ba da jimawa ba. ESL ta kara da cewa suna shirin kaddamar da gasar wasan kwallon kafar mata da zarar an kammala wasannin maza. Sai dai firaiministan Birtaniya Boris Johnson da Ueafa da kuma Firimiya League sun yi allawadai da matakin, a lokacin da aka yi sanarwar a karshen mako. A baya hukumar kwallon kafar duniya ta FIFA, ta ce ba za ta amince da irin wannan gasar ba, sannan 'yan wasan da suka shiga cikin shirin ka iya rasa damarsu ta buga wasan kwallon kafar duniya baki daya. Ita ma hukumar kwallon Turai ta Uefa ta jaddada gargadi a ranar Lahadi cewa za ta kori 'yan wasan da suka shiga sabuwar kungiyar daga buga wasannin turai ko ma na duniya baki daya, sannan za a hana su wakiltar kasashensu a lokacin gasar cin kofin duniya. Bayan sanarwar da Super League ta yi, hukumar Fifa ta nuna rashin amincewa da ita tare da kiran dukkan kungiyoyin da ke ciki da suka tayar da jijiyoyin wuya da su kwamtar da hankalinsu tare da tayin sasantawa domin ci gaban kungiyoyinsu. A wata sanarwa da ESL ta fitar ta ce: \"Kulob-kulob din da za su dauki nauyin wasannin za su tattauna da hukumomin Uefa da Fifa, domin aikin hadin gwiwa da zai samar da ingantacciyar sabuwar kungiyar da kawo ci gaba a duniyar tamaula baki daya.\" Me ya sa yanzu? An yi wata tattaunawa a watan Oktobar bara da ta hada da bankin JP Morgan, a kan sabuwar gasar da za ta lashe kusan fam biliya bakwai, wadda za ta maye gurbin gasar Zakarun Turai. Uefa tana fatan shirin sabuwar kungiyar Zakarun Turai, wadda za ta kunshi kungiyoyi 36, zai kawo sauye-sauyen da ake son gabatarwa a ranar Litinin, kafin samar da kungiyar Super League. Sai dai kulob-kulob 12 da ke cikin Super League suna ganin sauyin ba shi da wani tasiri sosai. Sun ce annobar korona da duniya ke fama da ita, ta janyowa tattalin arzikin hukumar kwallon kafar turai yana tangal-tangal da rashin tabbas. Sun kara da cewa \"A watannin da suka gabata, an yi zazzafar tattaunawa da masu ruwa da tsaki a fagen tamaula kan makomar ci gaban wasannin Turai.\" \"Kulob-kulob sun amince matakan da ake ganin za su magance matsalar da aka tattauna a kai a wajen taron ba su tabo manyan batutuwa ba, ciki har da bukatar samar da manyan wasanni masu inganci, da karin kudaden shiga ga daukacin wasannin kwallon kafa.\" Yaya aka tsara batun? Gasar za ta kunshi kungiyoyi 20 - mambobi 12 da za su kafa ta tare da kulob uku da ba a fadi sunayensu ba da kuma ake sa ran za su shiga tsarin nan ba da jimawa ba, da bangarori biyar da duk shekara za su samu nasarar shiga gasar bisa kokarin da suka yi daga kasashensu. Karkashin tsarin, ESL za su fara wasanni a watan Agustan kowacce shekara, inda za a dinga yin wasannin a tsakiyar mako, za kuma a dinga raba kulob-kulob zuwa rukuni biyu mai 'yan wasa 10, da za su rika buga wasa a ciki da wajen kasashensu. Uku daga cikin kowacce kungiya za su kai bantensu zuwa gab da na kusa da na karshe, yayin da wadanda suka zo na hudu da na biyar za su buga sauran wasannin. Daga nan za a ci gaba da bin tsarin da ake yi na wasan Champions League, kafin su buga wasan karshe a watan Mayu. ESL ta ce za ta samar da kudade fiye da wanda ake samarwa na gasar Champions League, za kuma a samar da ingantaccen sakamako da samar da kudaden shiga a baki dayan wasannin da za a yi. Juventus da AC Milan na cikin wadanda za su kafa sabuwar gasar"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52022275", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-52022268", "doc1": "টোকিওতে অলিম্পিক গেমস শুরু হবার কথা ছিল ২৪শ জুলাই। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে। “আমি এই গেমস এক বছর পিছিয়ে দেবার প্রস্তাব করেছিলাম এবং আইওসি-র প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ এতে তাঁর ১০০ ভাগ সম্মতি আছে বলে জানিয়েছেন,” বলেন মি. আবে। এই এক বছরের স্থগিতাদেশ টোকিও প্যারালিম্পিক গেমসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী আবে আরও বলেন, “এর ফলে অ্যাথলেটরা আরও ভাল পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। এছাড়া দর্শকদের জন্যও এই গেমসের আয়োজন আরও নিরাপদ হবে\"। ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আজ এই প্রতিযোগিতার বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠকে বসার কথা ছিল। ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিউ রবার্টসন ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তারা টোকিওতে ব্রিটিশ অ্যাথলেটদের পাঠাতে চায় না। বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্যাপস্টিক জানাচ্ছেন \"অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম কোন অলিম্পিক গেমস স্থগিত করা হলো। যুদ্ধের সময় অলিম্পিক বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু কখনই স্থগিত করা হয়নি\"। \"এই মুহূর্তে তারা বলছে, তারা ২০২১-এর গ্রীষ্মে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তাদের জন্য এটা হবে বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ। এত বড় মাপের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন স্থগিত করা সহজ কোন বিষয় নয়,\" বলছেন বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার করোনাভাইরাস : আপনার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশে আরো একজনের মৃত্যু, আরো ছয়জন আক্রান্ত চীনের উহান শহরে লকডাউন উঠে যাচ্ছে ৮ই এপ্রিল ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে জটিলতা", "doc2": "Tun farko an tsara fara gasar daga ranar 24 ga watan Yulin shekarar nan, amma yanzu za a gudanar da shi a shekara mai zuwa in ji kwamitin Olympic na duniya. Haka kuma an dage wasannin Olympic na nakasassu zuwa 2021. Kwamitin Olmpic ya ce za a kira gasar Tokyo 2020 duk da a shekarar 2021 ake gudanar da wasannin. Wata sanarwa ta hadin gwiwa tsakanin kwamitin Olympic da masu shirya gudanar da wasannin ta ce ''Daukar matakin ya zama wajibi ganin yadda annobar coronavirus ta game duniya''. A ranar Litinin daraktan hukumar lafiya ta duniya, Tedros Adhanom Ghebreyesus ya ce annonar COVIC-19 na ci gaba da ruruwa. Kimanin mutum 375,000 ne suka kamu da cutar a fadin duniya a kusan dukkan kasashe, ana kuma samun karin wadanda ke kamuwa da annobar a kowanne lokaci. Ba a taba dage gasar Olympic ba a cikin shekara 124 da ake gudanar da wasannin, illa an taba soke bikin 1916 da na 1940 da kuma 1944 a lokacin yakin duniya na daya da na biyu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54777336", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50068759", "doc1": "বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান তবে এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। এই ত্রিশ বছরে যেমন তিনি নিজেকে সুপারস্টারে পরিণত করেছেন, তেমনি বেশ কিছু বিতর্কেও জড়িয়েছেন অনেক। ওয়াংখেড়ে কাণ্ড ভারতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল-এ অন্যতম আলোচিত দল কলকাতা নাইট রাইডার্স, আর শুরু থেকেই দলটির অন্যতম মালিক শাহরুখ খান। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১২ সালে আইপিএলের একটি ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের কর্মীদের সাথে বিতণ্ডায় জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হন তিনি। এই ঘটনায় মি. খানকে পাঁচ বছরের জন্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করা হয়। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনার পর শাহরুখের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সংগঠনটি বলেছিল, ওই ঘটনায় শাহরুখ খানের ব্যবহার যথাযথ ছিল না। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা সালমান খানের সাথে এক পর্যায়ে শাহরুখ খানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে ঝামেলা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তিনবার শাহরুখ খানকে 'আটক' করা হয়। ২০১২ সালে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনস এয়ারপোর্টে ৯০ মিনিট আটকে রাখা হয় তাকে। ২০১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস এয়ারপোর্টে একবার আটকে রাখা হয় - সেবার দু'টি টুইটও করেন শাহরুখ বিষয়টি উল্লেখ করে। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকেটি বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা আটক ছিলেন শাহরুখ, সেবার ভারতের দূতাবাস থেকে হস্তক্ষেপ করে তাঁকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বলিউড সুপারস্টারদের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান দীপিকা পাডুকোন: কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই বলিউড তারকাকে এরদোয়ানের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করায় বলিউড তারকা আমির খানকে 'দেশদ্রোহী'র তকমা শিবসেনার তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলে তোলপাড় ২০১৫ সালে শাহরুখ খান একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতে ওই সময়ে চলমান নানা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলেন এবং এ নিয়ে ঝামেলায়ও পড়েন। শাহরুখ বলেছিলেন যে অসহিষ্ণুতা 'চরম একটা পর্যায়ে আছে এবং আমি মনে করি এটা বাড়ছে'। ভারতে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীদের হত্যা এবং গরুর মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজনকে মেরে ফেলার ঘটনার পরে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও চলচ্চিত্রের সাথে জড়িতদের অনেকেই রাষ্ট্র থেকে পাওয়া নানা পুরস্কার ফেরত দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তখন। শাহরুখ খান বলেন, \"মাংস খাওয়ার মতো একটা বিষয় নিয়ে আমরা যা করছি! মানুষের খাদ্যাভাস কী করে একটা ইস্যু হতে পারে।\" শাহরুখ খান পশ্চিমবঙ্গের দূত হিসেবেও কাজ করেছেন নানা সময়ে বিষয়টিকে 'নির্বুদ্ধিতা' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, \"অসহিষ্ণুতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। দেশপ্রেমিক হিসেবে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মনিরপেক্ষ না হওয়াটাই একটা বড় অপরাধ।\" শাহরুখ খানের এই বক্তব্যের পর ভারতে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। বিশেষত ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির নেতারা এ ধরনের মন্তব্যের জন্য শাহরুখের সমালোচনা করেন। তবে বেশ অনেকেই আবার শাহরুখের পক্ষেও কথা বলেন - তাদের যুক্তি ছিল এমন যে শাহরুখ খান একটি সময়োচিত ইস্যুতে কথা বলেছেন। সালমান খানের সাথে বিবাদ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক সুপারস্টার সালমান খানের সাথে এক পর্যায়ে শাহরুখ খানের বিবাদ শুরু হয়। এর আগে বেশ কয়েকটি সফল সিনেমায় দু'জন একসাথে অভিনয় করলেও দুই খান একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। দুই নায়কের ভক্তরাও এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা তর্কে বিতর্কে জড়ান। তবে উভয়পক্ষই এখন দাবি করছেন যে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের দূরত্ব মিটে গেছে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে মুক্তি পাওয়া 'জিরো' সিনেমায়, দু'জন একসাথে একটি গানে নাচেনও। ফারাহ খানের স্বামীকে থাপ্পড়ের ঘটনা শাহরুখ খান বলিউডের সিনেমা পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের স্বামী শিরিশ কুন্দারকে একবার চড় মেরেছিলেন। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক পার্টিতে এই ঘটনা ঘটে। ভারতের গণমাধ্যমে এই খবর বেশ ফলাও করে ছাপা হয় এবং সিনেমার ভক্তদের মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। ফারাহ খান শাহরুখের জনপ্রিয় সিনেমা 'ম্যা হু না' এবং 'ওম শান্তি ওম'-এর পরিচালক।", "doc2": "Shah Rukh Khan ya wallafa sakon godiyarsa ga Saudiyya a shafinsa na Twitter tare da sanya hotunan yadda bikin ya gudana. Da ya zo jawabin godiya yayin karramawar, jarumin ya fara ne da: 'Bismillah al-rahman al-rahim,' wato 'Da sunan Allah mai Rahama mai jin kai'. Sannan sai ya gayar da taro da yi musu sallama irin ta musulunci. Duk da cewa Khan musulmi ne, ya kasance baya nuna bambanci ga sauran addinai don matarsa Gauri Khan mabiyiyar addinin Hindu ne kuma sun shafe shekara 28 suna tare. King Khan kamar yadda aka fi sanin sa da shi ya kuma yi magana a kan ci gaban da Saudiyya za ta samu nan gaba duba da yadda ta bude gidajen kallo na sinima, bayan da yarima mai jiran gado ya dage haramcin da da aka sanya. \"Mun ta yi magana a kan karamcin da aka yi mana, da girmamawa da soyayya .... kuma ma dai wannan ita ce tafiya ta farko da muka yi zuwa kasar ta Saudiyya,\" a cewarsa kamar yadda shafin intanet na National ya ruwaito. Ya kara da cewa \"Inshallah, za mu jira cike da doki saboda an bude gidajen kallo anan Saudiyya. Akwai labarai da dama da za a fada, kuma mu a matsayinmu za mu taimaka da duk abin da za mu iya.\" Sauran wadanda aka karrama sun hada da wata fitacciyar jarumar kasar Masar Ragaa El Gedawy da jarumin Game of Thrones da Aquaman Jason Momoa. Jason Momoa ya ce ya fada cikin kaunar Saudiyya dumu-dumu tun karon farko da ya je kasar a shekarar 2017. Ya kuma kara bayani kan yadda ya taka rawa a sauyi da aka samu a Saudiyya: \"Abu ne mai kyau a ga sauyin da aka samu ko don al'umma mai tasowa\" Shi ma tauraron fim na Belgium Jean-Claude Van Damme da aka karrama ya ce ya ji dadi da aka ba shi lambar yabo mai siffar mikiya mai ruwan gwal. Baya ga wadannan akwai kuma fitaccen jarumin fina-finai dan kasar Hong Kong wato Jackie Chan da shi ma ya karbi lambar karramar, sannan da hawansa kan dandamali sai ya ce \"salam alaikum\". \"Na san da yawanku sun sanni. Na shafe shekara 59 ian yin fim. Wannan ne karo na farko da na zo Saudiyya, gaskiya babbar kasa ce. Ina fatan na sake dawowa da tawagata ta shirya fim nan kusa.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48611005", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48601573", "doc1": "হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিচ্ছেন আলমাজ ডেরেস। পশ্চিম ইথিওপিয়ার মেতু অঞ্চলে ২১ বছর বয়সী এই নারীর নাম আলমাজ ডেরেস। তিনি আশা করেছিলেন সন্তান প্রসবের আগেই তিনি হয়তো পরীক্ষা শেষ করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু রমজান মাসের কারণে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রসবের ব্যথা উঠলে সোমবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেদিনই তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে তিনি সন্তান প্রসব করেন এবং তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হলে তিনি হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে শুরু করে দেন। মিজ আলমাজ বলেছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় পড়ালেখা করতে তার তেমন অসুবিধা হয়নি। তবে তার জীবনের এরকম একটি ঘটনার কারণে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকেও তিনি বিরত থাকতে চাননি। তিনি বলেছেন, তাহলে তাকে আরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হতো। পরীক্ষার সময় একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। সোমবার তিনি তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- ইংরেজি, আমহেরিক এবং গণিত। বাকি পরীক্ষাগুলো তিনি আগামী দুদিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েই দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। \"পরীক্ষায় বসার জন্যে আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম। বাচ্চা জন্ম দেওয়াটা খুব একটা কঠিন ছিল না,\" বলেন তিনি। তার স্বামী টেডেস টুলু বলেছেন, এরকম অবস্থায় স্ত্রীর স্কুল যাতে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সেজন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছিলেন। ইথিওপিয়াতে পড়ালেখা শেষ করার আগেই ছাত্রীদের স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা। মিজ আলমাজ বলছেন, তিনি এখন দুই বছরের একটি কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহী এবং এর পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে চান। তিনি খুব খুশি যে তার পরীক্ষা ভাল হয়েছে। একই সাথে তার নবজাতক শিশুটিও ভাল আছে।", "doc2": "Almaz Derese ta rubuta jarabawa uku a asibitin Karl Mettu da ke yammacin Habasha Almaz Derese, mai kimanin shekara 21, 'yar asalin garin Metu da ke yammacin kasar, ta shirya rubuta jarabawar ne kafin ta haihu, sai kuma aka dage jarabawar sakandaren saboda watan azumin Ramadan. Ta fara nakuda ne a ranar Litinin wato kafin fara rubuta jarabawar farko. Almaz ta ce rubuta jarabawa da ciki ba wata matsala ba ce, don ba za ta iya jira sai shekara mai zuwa kafin ta samu shaidar kammala karatunta ba. Ta rubuta jarabawar Inglishi da ta harshen Amharic da kuma ta lissafi a asibitin ranar Litinin kuma za ta rubuta sauran jarabawar a cibiya jarabawar kwanaki biyu masu zuwa. Ta rubuta jarabawar karkashin matakan tsaro a asibiti \"Saboda ina zumudi in rubuta jarabawar, ban yi nakuda mai tsanani ba sam,\" Mme Almazta ta shaida wa BBC. Mai gidan ta, Tadese Tulu, ya ce sai da ya shawo kan makarantar kafin ta barta ta rubuta jarabawar a asibiti. A kasar Habasha mata na yawan kaurace ma makarantun sakandare kafin su koma daga baya. Mme Almaz tana son ta yi karatun shekara biyu nan gaba don ba ta dama share fagen shiga jami'a. Ta ce ta gamsu da yadda ta rubuta jarabawarta , da kuma yadda ta ce yaronta na cikin koshin lafiya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56732629", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-56735439", "doc1": "নাতানজে পরমাণু কেন্দ্র ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত, তাদের সবচেয়ে স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি মাটির অনেক গভীরে সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থিত ইরানের নাতাঞ্জে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম পরিশোধনাগারে এই সপ্তাহান্তে যে রহস্যজনক বিস্ফোরণ হয়েছে, দেশটি তার জন্য দায়ী করেছে ইসরায়েলকে। ইরান এটাকে \"নাশকতামূলক কাজ\" বলে ব্যাখ্যা করেছে। যদিও ইসরায়েল এই ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি, কিন্তু আমেরিকার ও ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে কিছু কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, যারা বলেছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইরান বলেছে, তারা \"তাদের বেছে নেয়া যে কোন সময়ে\" অবশ্যই এর প্রতিশোধ নেবে। এটা কিন্তু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বৈরি এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মাত্রা ক্রমশই বাড়িয়ে তুলেছে এবং পুরো যুদ্ধ বাধলে তা দুই দেশের জন্য ব্যাপক বিধ্বংসী হবে বলে সেটা এড়িয়ে তলে তলে তাদের ঠাণ্ডা লড়াই আরও তীব্র করে তুলেছে। এতে বিপদের ঝুঁকিগুলো কোথায় আর এর পরিণতিই বা কী হতে পারে? এই \"ছায়া যুদ্ধ\"-এর ক্ষেত্র মূলত তিনটি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হবে বলে বারবার আশ্বাস দিলেও ইসরায়েল তা বিশ্বাস করে না। ইসরায়েল নিশ্চিত যে ইরান গোপনে পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করছে যা ব্যালেস্টিক ক্ষেপাণস্ত্রের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য হবে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের ইসরায়েল সফরের সময় সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন: \"ইরানের কট্টরপন্থী প্রশাসন যে হুমকি সৃষ্টি করছে, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য তা সবচেয়ে ভয়ানক, সবেচয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হুমকি।\" আরও পড়তে পারেন: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার জেরুসালেমে বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাথে। সোমবার লন্ডনে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত যিপি হতোভেলি বিবিসিকে বলেন: \"ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র এবং তা ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচি বন্ধ করেনি। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য সারা বিশ্বের জন্য একটা হুমকি।\" এই বিশ্বাস থেকে ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে খোঁড়া করে দেবার বা তা বিলম্বিত করে দেবার জন্য গোপনে একপাক্ষিকভাবে, অঘোষিত তৎপরতা চালাচ্ছে। ইসরায়েল স্টাক্সনেট সাংকেতিক নাম দিয়ে তৈরি কম্পিউটার ভাইরাস সেখানে ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা প্রথম জানা যায় ২০১০ সালে। ওই ভাইরাস ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের সেন্ট্রিফিউজ ব্যবস্থাকে অকেজো করে দেয়। এ শতকের গোড়ার দিকে ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী রহস্যজনকভাবে মারা যান এবং গত বছর নভেম্বর মাসে তেহরানের কাছে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসিন ফখরিজাদেহ আততায়ীর আক্রমণে মারা যান। তিনি যে শুধু ইরানের শীর্ষ পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন তাই নয়, তিনি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন এবং ইসরায়েলের বিশ্বাস ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে \"সামরিক লক্ষ্যে \"গড়ে তোলার গোপন কার্যকলাপ তিনিই পরিচালনা করছিলেন। আরও পড়তে পারেন: সেই কর্মসূচি এখন সম্ভবত একটা বিপজ্জনক পর্যায়ে আছে। ইরান ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি পরমাণু চুক্তিতে সই করেছিল যার নাম ছিল জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ)। এই চুক্তিতে ইরান সই করার পর ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বের করে আনেন এবং ইরানের ওপর আবার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরান এরপর ওই চুক্তির শর্ত সময়ে সময়ে লংঘন করেছে এবং বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ করেছে। এভাবে উচ্চ মাত্রায় পরিশোধিত ইউরেনিয়াম পারমাণকি জ্বালানির জন্য যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনি অস্ত্র তৈরিতেও তা ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে। নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে বিজ্ঞানীরা (ফাইল ফটো) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকাকে আবার এই চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে চান, যদি ইরান চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মেনে চলতে সম্মত হয় তবেই। ইরান বলছে: \"না, আমরা তোমাদের বিশ্বাস করি না। তোমরা আগে প্রতিশ্রুতি পূরণ করো। নিষেধাজ্ঞা আগে তুলে নাও, তারপর আমরা চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানবো।\" এই অচলাবস্থা অবসানের চেষ্টায় বেশ কয়েকটি দেশের আলোচনাকারীরা ভিয়েনায় বৈঠক করছেন। এই চুক্তি বর্তমান আকারে পুনরুদ্ধার করার যুক্তি কতটা আছে তা নিয়ে সন্দিহান ইসরায়েল। লন্ডনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (রুসি)এর মধ্য প্রাচ্য বিশ্লেষক ড. মাইকেল স্টিফেন্স বলছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ভেস্তে দেবার একটা উদ্দেশ্যমূলক চেষ্টা নিয়েই ইসরায়েল সাম্প্রতিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। \"ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্যভ্রষ্ট বা অকেজো করতে ইসরায়েল একপাক্ষিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। কৌশলগত ক্ষমতার দিক দিয়ে তা চমকপ্রদ হলেও এটা কিন্তু একটা ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। প্রথমত, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকার আলোচনায় বসার পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে। বিশেষ করে আমেরিকা যখন ইরানের সাথে আবার নতুন করে চুক্তির চেষ্টা করছে।\" \"দ্বিতীয়ত, ইরান বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি স্বার্থ জড়িত এমন কিছুর ওপর এমন ধরনের হামলা চালাতে পারে, যা হবে অসম ক্ষমতার ভিত্তিতে এবং যা হয়ত খুব প্রচ্ছন্ন হবে না। ইরানের কর্মসূচি ইসরায়েল যে ব্যাহত করতে পারে সেটা তারা প্রমাণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেটার মূল্য কী দাঁড়াবে?\" সমুদ্রপথে নৌ চলাচল সমুদ্রপথে সম্প্রতি রহস্যজনক কিছু ঘটনা ঘটেছে। এবছরের গোড়ার দিকে ইসরায়েলি মালবাহী জাহাজ এমভি হেলিওস, ওমান উপসাগর দিয়ে যাবার সময় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজের মূল অংশে হঠাৎ করে দুটি বিশাল গর্ত দেখা যায় এবং ইসরায়েল সাথে সাথেই এর জন্য ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডকে দায়ী করে। ইরান বলে এতে তাদের কোন হাত ছিল না। ইসরায়েলি জাহাজ এমভি হেলিওস এপ্রিল মাসে সাভিজ নামে ইরানের একটি জাহাজ, যেটি দক্ষিণ লোহিত সাগরে নোঙর করা ছিল, সেটির মূল অংশ কোন কিছুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণা করা হয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই ক্ষতি হয়েছে। নিকটবর্তী ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন ধারণা করছিল সাভিজ ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের জন্য প্রধান সরবরাহকারী জাহাজ হিসাবে কাজ করছিল। তাদের বক্তব্য ছিল ওই মূল জাহাজটিতে স্পিডবোট, মেশিনগান এবং অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম দেখা গেছে, কিন্তু ইরান বলছেন ওই জাহাজটি কোন সামরিক উদ্দেশ্যে নয়, শান্তিপূর্ণ, বৈধ উদ্দেশ্যে সেটি ওখানে নোঙর করা ছিল। ইরান এই হামলার দায় চাপায় ইসরায়েলের ওপর। আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম খবর দেয় যে, গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিরিয়া-গামী ১২টি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যে জাহাজগুলিতে ইরানের তেল এবং সামরিক সরবরাহ পরিবহন করা হচ্ছিল। সিরিয়া ও লেবানন গত দশ বছর ধরে সিরিয়ার সীমান্তের ভেতরে যুদ্ধ চলার কারণে সেখানে ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতার দিক থেকে নজর সরে গেছে। ওই গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আইআরজিসি-র বহুসংখ্যক ইরানী সামরিক \"উপদেষ্টা\" ইরানের লেবানী মিত্র হেযবোল্লাহ-র সাথে একযোগে কাজ করেছে। কোন কোন সময় দেখা গেছে, ইরানী রেভুল্যশনারি বাহিনী সীমান্তের কাছে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতেও হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে আঘাত হানার মত দূরত্বে নির্ভুল নিশানায় ছোঁড়ার উপযোগী রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ব্যাপারে ইরানের সক্ষমতা ইসরায়েলকে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। ইসরায়েল সিরিয়ার ভেতরে ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও সরবরাহ পথের ওপর অসংখ্য বিমান হামলাও চালিয়েছে। তবে ইরান এ পর্যন্ত তাতে পেছিয়ে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখায়নি। উপসংহার এই ছায়া যুদ্ধের শিকড়ে রয়েছে পরিস্থিতি একেবারে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া। দুপক্ষের কেউই নিজেকে দুর্বল প্রতিপন্ন করতে চায় না। কিন্তু ইরান এবং ইসরায়েল দুই দেশই জানে এমন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া তাদের জন্য চতুর হবে যেখানে একটা পুরোপুরি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হবে না, কিন্তু উত্তেজনা একেবারে চরমে থাকবে। পারমাণবিক ক্ষেত্রে এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েলের গোয়েন্দারা ইরানের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করতে সক্ষম এবং সেটা তারা এমন অভিনব কৌশলে করতে সক্ষম যা তাক লাগিয়ে দেবার মত। ইরান অভেদ্য নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিলেও ইসরায়েলিরা প্রমাণ করেছে তাদের গুপ্তচররা ব্যক্তিগতভাবে সেই দুর্গে ঢুকে পড়তে সক্ষম বা সাইবার জগতের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেদ করে ইসরায়েলের পদক্ষেপ নেবার ক্ষমতা রয়েছে। সমুদ্রে নৌ চলাচলের ব্যাপারে ইসরায়েলের জন্য ভৌগলিক কিছু অসুবিধা আছে। ইসরায়েলের এইলাতে দেশটির নৌবাহিনীর বন্দর থাকায় সেখান দিয়ে লোহিত সাগরে ঢোকার ভাল সুযোগ তাদের রয়েছে। তবে লোাহিত সাগরের দূরবর্তী অংশগুলোতে গাল্ফ অঞ্চলে ইরানের দীর্ঘ উপকূল থাকায় এবং ইয়েমেনে হুথি মিত্রদের কারণে এ ক্ষেত্রে ইরান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। সিরিয়ায় বিধ্বস্ত ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য সিরিয়া এবং লেবাননে সবসময়ই তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ঘাঁটি স্থাপন করতে পারে। কিন্তু সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইসরায়েলও ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের জবাব কোন্ পথে যাবে এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যে ইরানকেই আঘাত করবে সেটাও তারা পরিষ্কার করেছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশানাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস-এ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ জন রেইন বলছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সক্ষমতা যেহেতু অনেক উন্নত, তার অর্থ হবে ইরান হামলা চালালে সেটা হবে \"সাদামাটা\" প্রচলিত ধরনের হামলা। ইরান এর বাইরে উন্নত কৌশলের হামলা চালাতে পারবে না। \"ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইরানের সবচেয়ে বড় মিত্র হল হেযবোল্লাহ। যেটা ইরানের জন্য কিছুটা হতাশার। কারণ হেযবোল্লাকে জড়িয়ে কোনরকম বড় যুদ্ধে যাওয় ইরান এড়াতে চায়। \"ইরানের বাড়তি কিছু সুবিধা থাকলেও, ইসরায়েলের সাথে সমান পাল্লায় লড়াইয় করার ক্ষমতা ইরানের নেই। ইসরায়েল আরও দূর পাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম, তাদের গুপ্তচরদের ইরানের ভেতর থেকে দ্রুত কাজ করার দক্ষতা রয়েছে এবং প্রচলিত ধারায় হামলা চালাতে চাইলে সেখানেও তারা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে।\"", "doc2": "A ƙarƙashin ƙasa aka ajiye na'urorin cibiyar Natanz Iran ta zargi Isra'ila da kai mata hari a ƙarshen mako, wanda ya lalata cibiyarta ta makamashin uranium a Natanz. Isra'ila ba ta fito ta yi iƙirarin harin ba wanda Iran ta kira \"zagon ƙasa\" amma Amurka da kafofin yaɗa labaran Isra'ila sun ambato wasu jami'ai na cewa hukumar leƙen asirin Isra'ila Mossad ce ta kai harin. Iran ta sha alwashin ɗaukar fansa \"a lokacin da ta zaɓa.\" Wannan ba sabon abu ba ne. Al'ada ce ta adawa da juna da tsarin ƙasashen biyu na idan ka ce kule na ce cas, yayin da suke ƙara ƙaimin yaƙi duk da suna taka tsan-tsan - zuwa yanzu - don kauce wa duk wani rikici wanda zai zama babbar illa ga kasashen biyu. Don haka, mene ne haɗarin a nan kuma ta yaya za a kawo ƙarshen wannan? Wannan 'barazanar yaƙin' za a iya raba ta zuwa kashi uku. Shirin nukiliyar Iran Isra'ila ba ta yi imani da iƙirarin Iran ba cewa shirin nukiliyarta ba ya da wani hatsari ga kowa. Isra'ila ta yi imanin cewa Iran na shirin mallakar makaman nukiliya a sirrance da kuma samar da makaman ƙare dangi. A ranar Litinin lokacin da yake ganawa da Sakataren Tsaron Amurka Lloyd Austin a ziyarar da ya kai, Firaministan Isra'ila Benyamin Netanyahu ya ce: \"A yankin Gabas Ta Tsakiya, babu wata barazana mafi tsanani da hatsari fiye da barazanar da gwamnatin kishin addini ke yi a Iran. Firaministan Ira'ila Benyamin Netanyahu yana ganawa da Sakataren tsaron Amurka Lloyd Austin Haka kuma a ranar Litinin, jakadan Isra'ila a London, Tzipi Hotovely ya shaida wa BBC cewa: Iran ba ta taɓa dakatar da shirinta ba na mallar makaman nukiliya da ƙare dangi, kuma burin Iran na mallakar makaman nukiliya.. babbar bazarana ce ga duniya. Da wannan tunanin, Isra'ila ta daɗe tana aiwatar da wasu ayyuka a ɓoye, domin ragewa da kuma gurgunta shirin nukiliyar Iran. Wannan ya haɗa da yin kutse da dasa bairus ɗin Stuxnet a kwamfuta, wanda aka fara ganowa a 2010, wanda ya gurgunta aikin Iran. Farkon wannan ƙarnin masana kimiyyar Iran da dama sun mutu a yanayi na ban mamaki sannan a watan Nuwamban 2020 aka yi wa Mohsen Fakhrizadeh kisan gilla a Tehran. Baya ga kasancewarsa jagoran masana kimiyyar nukiliyar Iran kuma yana riƙe da babban muƙami a dakarun juyin juya halin Musuluncin na Iran, sannan Isra'ila ta yi imanin cewa shi ne wanda ke jagorantar ɓangaren 'soja' na shirin nukiliyar Iran. Shirin yanzu ya kai wani mataki mafi hatsari. A 2015 Iran ta sanya hannu kan yarjejeniyar nukiliya ta haɗin gwiwa wadda ta bayar da damar ɗage wa ƙasar takunkuman da aka ƙaƙaba mata da nufin ita kuma ta amince a yi bincike kan shirinta. Amma a 2018 Shugaba Donald Trump ya fitar da Amurka daga yarjejeniyar, tare da ƙaƙaba wa Iran sabbin takunkumi, wanda ya saɓa wa sharuɗɗan yarjejeniyar, musamman ƙarfafa makamashin Uranium - makamashin da ake amfani da shi wajen samar da makamashin nukiliya ko kuma makamai da aka haramta. Shugaba Joe Biden na son dawo da Amurka a yarjejeniyar amma idan Iran ta amince ta mutunta yarjejeniya. Amma Iran yanzu na cewa: \"a'a ba mu yarda ba, mu fara gani a ƙasa. Za mu mutunta sharuɗɗan amma idan an ɗage takunkumai.\" Don ƙoƙarin karya wannan yanayin, masu sasantawa daga ƙasashe da dama sun yi taro a Vienna. Amma Isra'ila ba ta yi amannar cewa yarjejeniyar nukiliyar ta cancanci a sake farfaɗo da ita ba kamar yadda take a yanzu ba. Dr Michael Stephens, wani masani kan Gabas ta Tsakiya tare da cibiyar bincike ta London United Royal Institute (RUSI), ya ce ayyukan da Isra'ila ta yi kwanan nan wani ganganci ne na yin zagon kasa ga tattaunawar nukiliyar. \"Isra'ila na ƙoƙarin yin zagon ƙasa ga shirin Nukiliyar Iran ne ta bangare guda, ta yadda duk da cewa suna da ƙarfi, amma mataki ne mai hatsari. \"Da farko, wadannan ƙoƙarin na Isra'ila na iya lalata matsayin tattaunawar Amurka yayin da take neman sake shiga yarjejeniyar nukiliya da Iran. \"Amma abu na biyu shi ne Iran na neman yadda za ta rama, ta hanyar hari ga manufofin Isra'ila a duniya. Isra'ila ta nuna za ta iya wargaza shirin Iran, amma ta wace hanya?\" Sufurin ruwa Abubuwan ban mamaki sun faru a teku kwanan nan. A farkon wannan shekarar aka lalata wani jirgin dakon kaya mallakar Isra'ila, MV Helios, yayin da yake kan hanyar Tekun Oman. An tsaga jirgin ta hanyar gina ramuka a jirgin kuma Isra'ila ta zargi dakarun IRGC na Iran, zargin da Iran ta musanta. A watan Afrilun da ya gabata, wani jirgin ruwan Iran a Kudancin Bahar Maliya, ya samu matsala. Isra'ila da kawancen da Saudiyya ke jagoranta a Yemen da ke kusa sun yi imanin cewa Saviz ya kasance a matsayin \"Babban jirgi\" ga ƴan tawayen Houthi Yemen da Iran ke mara wa baya. An ga bindigogi da kuma wasu na'urorin zamani a cikin jirgin amma Iran din ta ce yana can ne don neman zaman lafiya, tare da zargin Isra'ila da kai harin. Kafofin yaɗa labaran Amurka sun ce sama da watanni 18 dakarun Isra'ila sun yi ƙoƙarin kai wa jiragen ruwa 12 hari da ke kan hanyarsu zuwa Syria ɗauke da mai da makamai. Syria da Lebanon Ganin yadda Syria ke cikin yaƙi a kan iyakokinta a tsawon shekaru 10 ya karkatar da hankalin sojojin Isra'ila. Yakin ya haifar da kwararar ƙwararrun sojojin Iran na IRGC da ke aiki da ƙungiyar Lebanon ta Hezbollah da ke samun goyon bayan Iran, domin taimaka wa shugaban Syria Bashar al-Assad. Isra'ila da tana bayyana damuwa kan yadda Iran ke shigar da rokoki da makamai masu linzami zuwa yankunan da ke kusa da biranen Isra'ila kuma ta kai hare-hare da yawa ta sama kan sansanonin da aka ajiye makaman a Syria. Kammalawa Babban muhimman taken wannan barazanar yaƙin shi ne maƙura. Babu wani ɓangare da zai yarda ya nuna rauni kamar Iran da Isra'ila sun san dole su yi taka tsan-tsan da ayyukansu don kada su abka yaƙi. A ɓangaren nukiliya a bayyane yake cewa leƙen asirin da Isra'ila ke yi ya samu kutsawa cikin farfajiyar tsaron Iran tare da tura mutane masu leƙen asiri da kuma makamai na intanet domin gurgunta matakan Iran. A ɓangaren sufurin ruwa kuma, Isra'ila tana da rauni ta la'akari da yanki. Tana da damar kutsawa ta Bahar maliya ta hanyar tashar ruwanta amma a sararin ruwan Iran ta fi ta mamaya, saboda yawan ruwanta da kuma ƙarfin da ta ƙara sakamakon ƴan tawayen Houthi a Yemen. A Syria da Lebanon, Iran tana da zaɓi na amfani da aminanta domin ƙaddamar da hari kan Isra'ila amma kuma akwai hatsari. Isra'ila ta fayyace girman martanin da zata yi da kuma inda za ta kai harin: a Iran. \"Abin takaici ga Iran, babbar abokiyar kawancenta na ƙoƙarin kai wa Isra'ila hari ita ce Hezbollah amma hakan na iya zama wani yunƙuri da zai ƙazance wanda zai iya sa Hezbollah cikin yakin da Iran ke son kaucewa. Iran ta fi dama amma da Isra'ila an fi ta ƙarfi. Isra'ila tana da makamai masu cin dogon zango kuma lokacin da ta yanke shawarar kai hare-hare ba kakkautawa, kamar yadda ta saba yi a Syria, ba sauki.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46942362", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49465405", "doc1": "সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে তারা কুদস বাহিনী - যারা ইরানিয়ান রেভুলশনারি গার্ডের এলিট ফোর্স - তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানা গেলেও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সোমবার সকালে হামলার খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার গণমাধ্যম বলছে 'একটি ইসরায়েলি বিমান আক্রমণ' প্রতিহত করেছে সিরিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী। রোববার আইডিএফ জানিয়েছে গোলান হাইটসের ওপর একটি রকেটের পথরোধ করেছে তারা। এই অভিযান সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? সোমবার সকালে এক টুইটের মাধ্যমে এই অভিযানের খবর প্রকাশ করে আইডিএফ। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায় ইসরায়েলি রকেট 'রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী' স্থানে আক্রমণ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দামেস্কে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানান। তবে এই আক্রমণের ফলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। নেতানিয়াহু'র সতর্কবার্তা ইসরায়েলিদের ভাষ্য অনুযায়ী 'গোলান হাইটসের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলা করা হলে তা প্রতিহত করে আয়রন ডোম এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম'; আর এর পরেই সিরিয়ায় অভিযান শুরু হয়। গোলান হাইটসের জনপ্রিয় শীতকালীন পর্যটন কেন্দ্র মাউন্ট হেরমন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এর কারণে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার চাদ সফরের সময় একটি সতর্কবার্তা জারি করেন; তিনি বলেন, \"আমাদের একটি নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে, সেটি হলো সিরিয়ায় ইরানি স্থাপনায় আঘাত করা এবং যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে তাদের ক্ষতি করা।\" সিরিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণ চালানোর বিষয়টি কদাচিৎ স্বীকার করে ইসরায়েল। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে সিরিয়ার অভ্যন্তরের প্রায় সবকটি সেনাঘাঁটিতে আঘাত করার দাবি করেছিল ইসরায়েল। আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতার এ দফায় কী চাইছেন শেখ হাসিনা ‘সুপার ব্লাড উল্ফ মুন’ আসলে কী? তিস্তা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে কি সিকিমের কারণেই?", "doc2": "Netanyahu ya ce zai kashe makashinsa tun kafin ya kashe shi Ba kasafai ba dai rundunar sojin Isra'ila ke bayyana ayyukansu a kasar Syria, to amma ta yi ikrarin kai harin sama ranar Asabar wanda ta ce ta kai kan 'jiragen Iran maras matuka masu kisa'. Firaiminista Benjamin Netanyahu ya jinjina wa kokarin sojojin nasa na kai hari. A wani jawabi da ya wallafa a shafinsa na Twitter, Mista Netanyahu ya ce \"Ina jaddada cewa Iran ba ta da garkuwa a kowane wuri. Sojojinmu na ko'ina domin yakar zaluncin Iran. Kashe makashinka kafin ya kashe ka.\" An dai yi amannar cewa Isra'ila ta gudanar da daruruwan hare-haren sama a Syria, tun bayan barkewar yakin basasa a kasar a 2011, da manufar hana kasar Iran samun wurin zama a Syria. Mai magana da yawun sojin kasar ta Isra'ila, ya ce sun kai harin ne a kudu maso gabashin birnin Damascus na Syria. Wasu majiyoyin sojojin kasar Syria da kamfanin dillancin labaran kasar ya rawaito na cewa sojoji sun dakile wasu jiragen yakin sama a tsibirin Golan a yunkurinsu na dosar birnin Damascus. Wasu rahotanni sun ce jirage maras matuka mallakar Isra'ila sun sauka a wani sansanin 'yan kungiyar Hezbollah da Iran ke mara wa baya, a Beirut babban birnin kasar Lebanon. Sai dai jagororin kungiyar Hezbollah sun ce wani jirgi maras matuki ya fado kan soron cibiyar watsa labaransu, inda jirgi na biyu shi kuma ya fashe a sama ya kuma fado kusa da ginin nasu. Hezbollah ta wallafa hotunan tarkacen jirgin maras matuki da ta ce na kasar Isra'ila ne Mazauna yankin a Beirut sun shaida wa kamfanin dillancin labarai na Associated Press cewa sun ji karar fashewar wani abu da ya girgiza yankin, bayan jin kugin wani abu mai kama da jirgi. Sai dai Sojojij Isra'ila sun ki yadda su ce uffan kan wannan rahoto. Firaiministan kasar Lebanon, Saad Hariri ya bayyana harin da Israila ta kai musu da na 'rashin mutunta kasa mai cin gashin kanta\". Rahotanni sun rawaito cewa Isra'ila ce ta kai wani hari ta sama a kan ma'ajiyar makaman kasar Iraqi a watan da ya gabata. Jaridar The New York Times ta Amurka ta ambato wasu jami'an kasar Amurka na cewa Isra'ila ce ta kitsa harin saman da aka kai wa ma'ajiyar makaman na Iraqi a ranar 19 ga watan Yuli, bisa zargin cewa Iran na amfani da ma'ajiyar wajen safarar makamai zuwa cikin Syria. Sojojin Isra'ila dai ba su ce uffan ba kan rahoton na The New York Times."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55729266", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55708251", "doc1": "জো বাইডেন ও কমালা হ্যারিস অভিষেকের এই দিনটি সম্পর্কে আপনার যা যা জানা প্রয়োজন, সেসব নিয়েই সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদনটি: অভিষেক কী? অভিষেক হলো সেই আনুষ্ঠানিকতা যেখান থেকে নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি হচ্ছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে, মার্কিন আইনসভা ক্যাপিটল ভবনের প্রাঙ্গনে। এই অনুষ্ঠানের একমাত্র অবশ্য পালনীয় অনুষঙ্গ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টের শপথ গ্রহণ - যেখানে তিনি বলেন: \"আমি একনিষ্ঠভাবে শপথ গ্রহণ করছি যে, আমি বিশ্বস্ততার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পাদন করব, এবং আমি আমার সামর্থের সবটুকু দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও প্রতিপালন করবো\"। এই শব্দগুলো উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই মি. বাইডেন আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্টে পরিণত হবেন এবং তার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হবে। অবশ্যই এখানেই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে না, এর পরেই থাকবে উদযাপন। কমালা হ্যারিসও শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্টে পরিণত হবেন এবং প্রথা অনুযায়ী এটি ঘটে প্রেসিডেন্ট শপথ নেবার ঠিক আগে। বাইডেনের অভিষেক কখন? আইন অনুযায়ী, অভিষেকের দিনটি হলো ২০শে জানুয়ারি। সাধারণত উদ্বোধনী বক্তব্যটি দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে দশটা), আর তার ঠিক আধঘণ্টা পর মধ্যাহ্নের সময় জো বাইডেন এবং কমালা হ্যারিস শপথ নেবেন। তারপর হোয়াইট হাউজে চলে যাবেন জো বাইডেন, যেটা হতে যাচ্ছে তার আগামী চার বছরের কর্মস্থল ও বাসস্থান। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী? প্রেসিডেন্টের অভিষেকে প্রথাগতভাবেই সবিস্তার নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকে। আর ৬ই জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব চালানোর কারণে এবার নিরাপত্তা থাকছে অনেক বেশি। ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়া তাণ্ডবকারীদের সাথে পুলিশের সংঘাত মার্কিন কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন, শহরের বেশিরভাগ অংশেই চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার নেতৃত্বে আছে সিক্রেট সার্ভিস, যাদের সাথে যোগ হয়েছে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। আর অতিরিক্ত হিসেবে হাজার হাজার পুলিশ অফিসারতো থাকছেনই। ওয়াশিংটন ডিসিতে আগে থেকেই জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে, যা বলবৎ থাকবে অভিষেক শেষ হওয়া পর্যন্ত। সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেতৃত্বে রয়েছেন এজেন্ট ম্যাট মিলার। তিনি সাংবাদিকদের গত শুক্রবার বলেছিলেন যে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম নারী, অশ্বেতাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট- কে এই কমালা হ্যারিস ট্রাম্প কি অভিষেকে থাকবেন? বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকবেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রে একটা প্রথায় পরিণত হয়েছিল। যদিও এই প্রথা কখনো কখনো অপ্রস্তুত ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি করে। কিন্তু এই বছর সেই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে যোগ হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা - অভিষেক অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাজিরই হচ্ছেন না। ৮ই জানুয়ারিতেই একটি টুইট করে সেটি জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন: \"যারা যারা জানতে চেয়েছেন তাদের সবার উদ্দেশ্যে, ২০শে জানুয়ারির অভিষেকে আমি যাচ্ছি না\"। দিনটিতে তিনি ফ্লোরিডায় তার ঠিকানা মার-আ-লাগোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে এখন পর্যন্ত ঠিক হয়ে আছে। মি. ট্রাম্পের কিছু সমর্থক বলছেন, মি. বাইডেন যে সময়ে শপথ নেবেন, ঠিক সেই একই সময়ে তারা একটা ভার্চুয়াল \"দ্বিতীয় অভিষেক\"-এর পরিকল্পনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য। ফেসবুকে ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ বলেছেন, তারা মি. ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দেখাতে এই অনলাইন ইভেন্টে যোগ দেবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন তার পূর্বসূরী বারাক ওবামা মি. ট্রাম্প যখন শপথ নিয়েছিলেন, তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন তার স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অথচ তার মাত্র দু'মাস আগেই মিসেস ক্লিনটন মি. ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন এক তিক্ত প্রচারণা পর্ব শেষে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মাত্র তিনজন প্রেসিডেন্ট তাদের উত্তরাধিকারীর অভিষেকে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - জন অ্যাডামস, জন কুইন্সি এবং অ্যান্ড্রু জনসন। গত শতাব্দীতে অবশ্য একজন প্রেসিডেন্টও এই কাজ করেননি। অবশ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন যে তিনি আজকের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কোভিড-১৯ এই বছরের অভিষেককে কীভাবে বদলে দেবে? সাধারণ পরিস্থিতিতে, অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লাখ লাখ মানুষ ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে জড়ো হন। অভিষেকের সময় ক্যাপিটল হিলের সামনের ন্যাশনাল মল মানুষে গিজগিজ করে। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথমবারের অভিষেকে কুড়ি লাখের মতো মানুষ এসেছিল। কিন্তু এ বছরের উদযাপনে \"চরম কাটছাঁট\" করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন টিম। তারা আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাজধানীতে না আসার জন্য। ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডবের পর একই আহ্বান জানিয়েছে ডিসি কর্তৃপক্ষও। অভিষেক এলাকায় যে দর্শক গ্যালারি তৈরি করা হয়েছিল, তাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে যে প্রথাটা ভাঙ্গা হচ্ছে না এবার তা হলো, ক্যাপিটল হিলের সামনে দাঁড়িয়ে মলের দিকে মুখ করেই শপথ নেবেন মি. বাইডেন এবং কমালা হ্যারিস। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার মঞ্চে যে শ'দুয়েক মানুষ বসবেন, তাদের আসন সাজানো হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে। মঞ্চে যারা থাকবেন তাদের প্রত্যেকের মুখই থাকবে মাস্কে ঢাকা - অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে সবারই কোভিড-১৯ আছে কি-না, তা পরীক্ষা করে দেখার কথা। অবশ্য গত জুনে মি. বাইডেন বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি শপথ গ্রহণের মুহূর্তটিতে মাস্ক পরে থাকবেন না। ইউএস ক্যাপিটলের সামনে অভিষেক মঞ্চ অতীতে আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে দুই লাখ পর্যন্ত টিকেট ছাড়া হতো, এবার মহামারির কারণে পাওয়া যাবে মোটে এক হাজারের মতো। অতীতের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের রীতি অনুযায়ী সেনাবাহিনী পরিদর্শন করবেন কমাণ্ডার-ইন-চিফ। তবে পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউ থেকে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত সেই প্রথাগত প্যারেডের বদলে এবার হবে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভার্চুয়াল প্যারেড। পরে সস্ত্রীক মি. বাইডেন এবং স্বামীসহ মিজ হ্যারিসকে হোয়াইটে হাউজে নিয়ে যাবে সেনাবাহিনী, যাদের সাথে থাকবে ব্যান্ড দলও। কোন কোন তারকা থাকবেন? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন প্রেসিডেন্টরা অভিষেকের দিনে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় তারকাদের হাজির করেছেন। মহামারি সত্বেও এ বছরও ব্যতিক্রম হবে না। জো বাইডেনের সক্রিয় সমর্থক লেডি গাগা উপস্থিত থাকবেন এবারের অভিষেকে। তিনি জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন। পরে মঞ্চে গান গাইবেন জেনিফার লোপেজ। মি. বাইডেনের শপথ গ্রহণের পর অভিনেতা টম হ্যাংকসের উপস্থাপনায় ৯০ মিনিটের একটি টেলিভিশন শো হবে, সরাসরি অনুষ্ঠানের বদলে টিভি শোয়ের কারণ ওই একই - কোভিড মহামারি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জন বন জোভি, ডেমি লোভ্যাটো এবং জাসটিন টিম্বারলেক। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ টিভি নেটওয়ার্ক এবং স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোতে সম্প্রচারিত হবে। শুধু রক্ষনশীল নেটওয়ার্ক ফক্স চ্যানেলে এটা দেখানো হবে না - প্রচারণার সময় চ্যানেলটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলো। ওবামার দু'বারের অভিষেকেই মঞ্চ মাতিয়েছিলেন বিয়ন্স নোয়েলস", "doc2": "Tun daga batun dokokin korona da batun tsaro da kuma batun zuwan mawaƙiya Lady Gaga, ga duka abin da ya kamata ku sani game da wannan babbar rana. Mene ne bikin rantsarwa? Bikin rantsarwa biki ne da ake gudanar da shi a hukumance da yake alamta ranar farko da shugaban ƙasa zai fara aiki, kuma ana gudanar da bikin ne a birnin Washington DC. Abin da ake buƙata daga shugaban ƙasar kawai shi ne ya karanta kalmomin rantsuwar kama aiki inda zai rantse da cewa zai gudanar da aikinsa bisa gaskiya da amana kamar yadda kundin tsarin mulkin ƙasar ya tanada. Da zarar ya kammala rantsuwar, Mista Biden zai fara aiki a matsayin zaɓaɓɓen shugaban Amurka na 46, sai dai bayan nan akwai wasu shagulgula da za su biyo baya Ita ma Kamala Harris za ta zama mataimakiyar shugaban ƙasa a ranar bayan ta sha rantsuwa, kuma an saba fara rantsar da mataimaki kafin shugaba a ƙasar. Yaushe ne za a rantsar da Biden? A doka, za a rantsar da shugaban ne a ranar 20 ga watan Janairu. Za a a fara jawabai na buɗe taro da misalin 11:30 agogon EST, kimanin 16:30 kenan agogon GMT inda ake sa ran da misalin 12:00 na ranar agogon EST za a rantsar da Biden da Kamala. Ana sa ran da yammaci ko zuwa dare Mista Biden zai koma White House - inda a nan ne zai zauna har wasu shekaru huɗu masu zuwa Ya yanayin tsaro zai kasance a ranar? Kamar yadda aka saba, ana tsaurara tsaro a duk lokacin bikin rantsar da shugaban ƙasa, ana ganin a wannan karon za a ƙara tsaurara tsaro musamman bayan wasu magoya bayan Donald Trump sun kutsa Majalisar Tarayyar Amurka a ranar 6 ga watan Janairu. Jami'an ƙasar sun ƙara tsaurara tsaro tare da rufe wasu sassa na birnin na Washington. Jami'an tattara bayanan sirri tuni suka ɗauki nauyin kula da shirye-shiryen tsaro, inda suke da goyon bayan wasu sojojin tarayyar ƙasar har mutum 15,000 da kuma ƙarin dubban ƴan sanda. Tuni aka saka dokar ko-ta-kwana a Washingtin DC, kuma birnin zai ci gaba da zama a hakan har sai bayan rantsuwa. Wani jami'i da ake kira Matt Miller, wanda shi ne ke jagorantar tabbatar da tsaro yayin rantsuwar a madadin hukumar tattara bayanan sirrin, ya shaida wa ƴan jarida cewa an shafe kusan shekara guda ana gudanar da shirye-shiryen. Shin Trump zai halaraci bikin rantsuwar? Ya zama kamar al'ada ga shugaban ƙasa mai barin gado ya halarci bikin rantsuwar, sai dai a bana, abin zai bambanta domin Shugaba Trump ya bayyana cewa ba zai je wurin ba. \"Ga duka masu tambaya, ba zan je wurin bikin rantsuwa ba a ranar 20 ga watan Janairu,\" kamar yadda Mista Trump ya wallafa a shafinsa na Twitter a ranar 8 ga watan Janairu. Ana sa ran cewa shugaban zai tafi gidansa na Florida a ranar. Wasu daga cikin magoya bayan Trump ɗin sun ce za su haɗa bikin ranstuwa na biyu a ranar amma ta intanet a daidai lokacin da ake rantsar da Biden ɗin. Sama da mutum 68,000 a shafin Facebook sun bayyana cewa za su halarci bikin rantsuwar ta intanet domin nuna goyon bayansu ga Trump. A shekarun baya dai Barack Obama ya halarci bikin rantsar da Trump A lokacin da aka rantsar da Mista Trump, Hillary Clinton ta raka mijinta Bill Clinton zuwa bikin rantsuwar - watanni biyu kacal bayan Mista Trump ya kayar da ita a zaɓen shugaban ƙasar. Shugabannin Amurka uku kacal a tarihi suka ƙi yarda su halarci bikin rantsuwar wanda zai karɓe su - John Adams da John Quincy Adams da kuma Andrewa Johnson, sai dai a shekaru 100 da suka gabata ba a samu shugaban dai ya yi haka ba sai a yanzu aka samu Shugaba Trump. Sai dai mataimakin shugaban ƙasa, Mike Pence ya bayyana cewa zai halarci taron. Ta ya annobar korona za ta sauya bikin rantsuwa na bana? A baya dai, akan ga ɗaruruwan mutane na shiga birnin Washington DC - an yi ƙiyasin cewa mutum miliyan biyu sun je birnin a lokacin rantsar da Obama a 2009. Sai dai a wannan karon za a ƙayyade adadin mutanen da za a bari, kamar yadda waɗanda ke tare da Mista Biden suka bayyana, haka kuma sun roƙi Amurkawa da kada su yi tururuwa zuwa babban birnin ƙasar, haka kuma tun bayan da aka kutsa a Majalisar Tarayyar Amurka, hukumomi a ƙasar sun sha nanata irin wannan kira. Jaridar Washington Post ta ruwaito cewa kusan mutum 200 ne za su zauna a wurin, kuma tare da ba juna tazara. Kowa zai saka takunkumi kuma kowa za a yi masa gwajin korona kwanaki kafin wannan biki. Tun a watan Yunin bara Mista Biden ya ce ba zai saka takunkumi ba idan za a rantsar da shi. Tuni aka fara shirya wurin da za a gudanar da bikin rantsuwar A baya dai, sama da tikiti dubu 200 ake sayarwa domin halartar wannan gagarumin biki, sai dai sakamakon ƙaruwar cutar korona a faɗin Amurka, tikiti dubu kaɗai za a sayar. A wannan shekara, kamar yadda aka saba miƙa mulki cikin ruwan sanyi, sabon shugaban zai yi zagaye domin duba sojojin da suke fareti. Sai kuma daga nan za a raka Mista Biden da kuma Ms Harris da iyalansu zuwa White House inda sojoji ne za su yi rakiyar da kaɗe-kaɗe. Waɗanne mawaƙa za su yi wasa a wurin? A shekarun da suka gabata, shugabannin da za a rantsar kan saka wasu sahararrun mawaƙa a cikin waɗanda za su yi wasa yayin bikin, sai dai a bana duk da annobar korona, lamarin bai kasance daban ba. Mawaƙiya Lady Gaga - wadda shahararriyar mawaƙiya ce kuma mai goyon bayan shugaban ƙasar - za ta rera taken ƙasar inda Jennifer Lopez za ta rera waƙa yayin bikin. Bayan an rantsar da Mista Biden, tauraron fina-finan nan Tom Hanks, zai yi wani shiri na musaman a talabijin duk domin nuna murna. Cikin waɗanda za su shiga shirin na talabijin, akwai Jon Bon Jovi da Demi Lovato da kuma Justin Timberlake inda kuma kusan duka manyan kafofin talabijin na Amurka za su haska shirin, sai dai tashar Fox News ba za ta haska shirin ba, wadda tasha ce da aka santa wurin goyon bayan Mista Trump."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54990968", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-54989970", "doc1": "ইরানি নেতারা বলছেন, তাদের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে না। তিনি আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন যে সেই কাজটা তিনি খুব দ্রুতই করবেন। \"নষ্ট করার মতো সময় নেই,\" এবছরের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক এক সাময়িকীতে একথা লিখেছেন জো বাইডেন। এধরনের বিষয়ে কাজের যে লম্বা তালিকা জো বাইডেনের হাতে রয়েছে তার একটি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়া। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামের এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ২০১৫ সালে। এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এতে সই করেছিল ইরান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয় এই সমঝোতাকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর পরই এই চুক্তিটি বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটুকু করেই থেমে থাকেন নি, পুরো চুক্তিটি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। পরের দু'বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু তারপরেও ইরানকে দমানো সম্ভব হয়নি। বরং তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জো বাইডেনের জন্য ইরানের হিসাব মেলানো কঠিন হবে। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন কি পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন? বর্তমান সময় এবং আমেরিকার বিভক্ত রাজনীতির মধ্যে তার পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? \"তার কৌশল খুব পরিষ্কার। কিন্তু সেটা করা সহজ হবে না,\" বলেছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ইরান বিশেষজ্ঞ আনিসে বাসিরি তাবরিজি। 'ফিরে যাওয়া নয়' গত দু'বছর ধরে ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো থেকে জো বাইডেন বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যদি তিনি সেগুলো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এবিষয়ে এখনও তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। শুধু বলেছেন চুক্তি অনুসারে ইরানকে কোন কোন বিষয় মেনে চলতে হবে। জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন লিখেছিলেন, \"তেহরানকে চুক্তিটি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।\" কিন্তু ইরানকে সেটা করতে বাধ্য করানোও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বের হয়ে যাওয়ার পর ইরান তার নিজের কাজে ফিরে যেতে শুরু করেছে। পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজর রাখে জাতিসংঘের যে সংস্থাটি সেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ তাদের শেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চুক্তিতে ইরানকে যতোটুকু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তার চেয়েও ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে। সংস্থাটি এও বলেছে ইরানকে যে মাত্রায় (৩.৬৭%) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তারচেয়েও বেশি মাত্রায় সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরে গেছে। অল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বেসামরিক নানা কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর বিশুদ্ধতার মাত্রা বেশি হলে সেটা পরমাণু বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে আর সেটা নিয়েই পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ। কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা বার বার বলছেন, প্রয়োজন হলে তারা আবার পুরনো চুক্তিতে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু কথা হল এর মধ্যে তারা গবেষণায় যে অগ্রগতি ঘটাবে সেটা তো আর মুছে ফেলা যাবে না। \"আমরা তো পেছনে যেতে পারবো না,\" বলেন আলী আসগর সুলতানিয়েহ, জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থায় ইরানের সাবেক দূত। তিনি বলেন, \"এখন আমরা একটা পয়েন্ট থেকে আরেকটা পয়েন্টে পৌঁছে যাচ্ছি এবং আমরা এখন এই জায়গাতেই আছি।\" রাজনৈতিক চাপ এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঝড় সামাল দিয়েছে ইরান। এখন তাদের নিজেদেরও কিছু দাবি আছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়াই যথেষ্ট হবে না। ইরান আশা করছে, আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যেসব অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। ইরানে আগামী বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী শিবিরগুলো এবিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি মুদ্রার মূল্য কমে গেছে। বেড়ে গেছে মুদ্রাস্ফীতি। ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মাধ্যমে জো বাইডেন কি প্রেসিডেন্ট রুহানির সম্ভাবনা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নাসের হাদিয়ান-জ্যাজি বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগেই জো বাইডেনকে এবিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। \"আনুষ্ঠানিক বার্তা দিয়ে তাকে বলতে হবে কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই খুব দ্রুত তিনি জেসিপিওএ চুক্তিতে ফিরে যাবেন। এটুকুই যথেষ্ট হবে।\" তিনি বলেন, মি. বাইডেন যদি এটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওই অঞ্চলের ষড়যন্ত্রকারীরা চুক্তির বিষয়ে এই দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুন-প্রতিষ্ঠায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জো বাইডেনের এখানে কিছু করার ক্ষমতা হয়তো সীমিত। জেসিপিওএ চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় অবস্থান পুরোপুরি বিভক্ত। বেশিরভাগ রিপাবলিকান এই চুক্তির বিরোধী। এছাড়াও ওয়াশিংটনে ক্ষমতার ভারসাম্য কী হবে এবং নতুন প্রশাসন কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে সেটা জানুয়ারি মাসে সেনেটের বাকি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। নতুন জোট জেসিপিওএ চুক্তিটি কখনো কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল না। এর সঙ্গে আরো যেসব দেশ যুক্ত রায়েছে- রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ভূমিকা রয়েছে এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলো এনিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও চুক্তিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। ফলে এই তিনটি দেশ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ফিরে আসার সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে লন্ডন, প্যারিস এবং বার্লিনে অনেকেই মনে করছেন বিশ্ব পরিস্থিতি আর আগের জায়গাতে নেই এবং পুরনো চুক্তিতে যে খুব সহজেই ফিরে যাওয়া যাবে সেই সম্ভাবনা কম। \"ইউরোপের তিনটি দেশ এখন জেসিপিওএ চুক্তির পরবর্তী সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছে,\" বলেন আনিসে বাসিরি তাবরিজি। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, এরকম কোন চুক্তি হলে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাসহ দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করে দেওয়ার জন্যেই সেটা করা হবে। কারণ বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু আঞ্চলিক শক্তি, যারা জেসিপিওএ চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, যেমন ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন- তারা সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কিছু চুক্তিতে সই করেছে। এসব সমঝোতা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায়। ফলে এসব দেশ কী চায় সেটা উপেক্ষা করাও এখন কঠিন হবে। সম্প্রতি তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওয়াশিংটনে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা বলেছেন, \"আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপার নিয়ে সমঝোতা করতে চাই তাহলে আমাদেরকে সেখানেও যেতে হবে।\" আরো পড়তে পরেন: নতুন বিস্ফোরণের খবর অস্বীকার করছে ইরানের সরকার ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ বাইডেনের বিজয়: নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি উপসাগরীয় আরব নেতারা ইরান নিয়ে আতঙ্কিত ভারত, দুই মন্ত্রী তেহরানে ইরানের বিরোধী দলগুলো কতটা শক্তিশালী? তার এই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে ওই ইন্সটিটিউটের পরিচালক আমোস ইয়াদলিনের কথাতেও। তিনি বলেছেন, \"মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অন্যান্য মিত্রদের সাথে নিয়ে ইসরায়েলও ওই আলোচনায় থাকতে চায়।\" সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এসব মতামত ও অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে ইরানের সঙ্গে করা চুক্তিতে ফিরে যাওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্যে খুব একটা সহজ হবে না। সব পক্ষের চাওয়া পাওয়া একসাথে মেলানোর কূটনীতি তার জন্য রুবিক্স কিউব মেলানোর মতোই কঠিন হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে গত সপ্তাহে মি ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু উপদেষ্টারা তাকে এই কাজ করা থেকে বিরত রেখেছেন। ইরানের কাছে রয়েছে বৃহৎ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও আন্তর্জাতিক রীতি নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিচ্ছেন। তবে জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আগে মি. ট্রাম্প যা কিছুই করুন না কেন এটা পরিষ্কার: জো বাইডেনের জন্যে তিনি পরিস্থিতি আরো কঠিন করে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ফলে এই সময়ের মধ্যে ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।", "doc2": "Ya yi alƙawarin kare martabar Amurka kuma ya ce cikin gaggawa, \"Babu lokacin yin hasara,\" kamar yadda ya rubuta a wata mujallar harkokin ƙasashen waje a farkon wannan shekarar. Daga cikin jerin abubuwan da zai yi akwai alƙawalin dawo da yarjejeniyar nukiliyar Iran ta 2015 ta JCPOA - ɗaya daga cikin nasarorin da ake muhawarar Obama ya samu wanda Trump ya gada. Tun ficewa daga yarjejeniyar a watan Mayun 2018, Shugaba Trump ya yi ta yin ƙoƙarinsa na rusa ta. Amma duk da fiye da shekaru biyu na manufofin Shugaba Trump na \"matsin lamba\" kan Iran, Jamhuriyar Musuluncin ba ta yi ƙasa a gwiwa ba kuma ta kusa cimma fasahar da take buƙata don ƙera makamin nukiliya fiye da yadda ta yi lokacin da Amurka ta fara suka. Shin Joe Biden, wanda za a rantsar a watan Janairu, zai dawo da matsayin Amurka yadda take? Ganin lokaci na tafiya da kuma rarrabuwar kan da aka samu a yanayin siyasar Amurka, ko zai iya? Tsarin a bayyana yake,\" a cewar Aniseh Bassiri Tabrizi, wani masanin harkokin Iran a wata cibiyar harkokin Amurka da ke London RUSI. Ba ja da baya Yana da kyau a bayyana cewa akwai manyan ƙalubale. Takunkumai masu sarƙaƙiya da Amurka ta ƙaƙaba a cikin shekaru biyu da suka gabata zai ba Biden damarmaki idan ya har yana so. Zuwa yanzu ya yi magana ne kawai kan yarjejeniyar Iran ta JCPOA na kiyaye yarjejeniyar. Iran ta dawo da aikin shirin nukiliyarta domin martani ga takunkuman Donald Trump Ya rubuta a watan Janairu cewa \"dole ne gwamnatin Tehran ta mutunta ƙa'idojin.\" Amma wannan ya riga ya zama ƙalubale. Bayan ficewar Donald Trump daga yarjejeniyar, Iran ta fara jan baya ga alƙawuranta. A rahotonta na ƙarshen shekara, Hukumar Makamashi Ta Duniya ta ce Iran ta samu kusan adadi 12 na arzikin makamashin uranium da aka amince ƙarƙashin yarjejeniyar. Ta fara inganta makamashinta na uranium fiye da kashi 3.67 da aka amince a yarjejeniyar. Ana amfani da uranium don dalilai da yawa masu alaƙa da makaman nukiliya - amma a mafi girman yanayi (wanda Iran ba ta kusa da shi, kuma ba a sani ba) ana iya amfani da shi don samar da bom na nukiliya, saboda haka babbar damuwa ce. Duk da cewa waɗannan batutuwa ne masu sauƙi da za a iya magance su - jami'an Iran ɗin sun sha nanata cewa abubuwan da suke yi da suka saɓa \"za a iya sauyawa\" - zurfafa binciken Iran da ci gaban da aka samu abu ne da ba za ta iya watsi da shi ba. \"Ba za mu koma baya ba,\" in ji Ali Asghar Soltaniehm jakadan Iran a hukumar makamashi ta IAEA. Matsin lambar siyasa Amma Iran, wacce ta jure wa guguwar Trump, tana da nata buƙatun. Jami'ai sun ce cire takunkumin ba zai isa ba. Iran na sa ran za a biya ta diyyar shekaru biyu da rabi na gurguntar da tattalin arzikinta. Darajar Kudin Iran ta fadi sosai da kuma karuwar hauhawar farashin kayayyaki Ganin cewa zaɓen shugaban kasar Iran na gabatowa a watan Yunin shekara mai zuwa, masu ra'ayin kawo sauyi da masu tsattsauran ra'ayi sun fara cacar-baki da fafutukar neman matsayi. Tattalin arzikin Iran ya ƙara taɓarɓarewa lokacin Shugaba Hassan Rouhani. Ko Joe Biden zai iya yi wa Rouhani tasiri ta hanyar ɗage takunkumai? Nasser Hadian-Jazy, farfesan kimiyyar siyasa a Jami'ar Tehran ya ce ya kamata Joe Biden ya bayyana ƙudirorinsa kafin rantsar da shi. \"Saƙon da ke yawo cewa zai koma yarjejeniyar JCPOA ta nukiyar Iran ba tare da wani sharaɗi ba kuma cikin hanzari,\" a cewarsa \"Ya isa haka\" Kasa cimma haka, a cewarsa, zai buɗe kofa ga masu \"adawa\" a Iran da Amurka da kuma yankin su dagula lamurra. Shugaba Hassan Rouhani ya ce Iran za ta yi amfani da dukkanin damarmakinta kan rage radadin takunkuman Amurka Sabbin aminai Tabbas, yarjejeniyar JCPOA ba lamari ne na alaƙa ba. Sauran masu daukar nauyin yarjejeniyar na duniya - Rasha da China da Faransa da Birtaniya da Jamus haɗi da Tarayyar Turai - duk ko ta wace hanya suna da buri kan makomarta. Masu tallafawa na ƙasashen Turai musamman sun damu sosai don ganin Amurka ta ƙara himma ga samun nasarar yarjejeniyar. Birtaniya da Faransa da Jamus, da ake kira 'E3' sun yi ƙoƙarin kare yarjejeniyar lokacin mulkin Trump kuma yanzu za su iya taka muhimmiyar rawa wajen tabbatar da ganin Amurka ta dawo. Sauran manyan kasashen duniya sun yi kokarin tabbatar da dorewar yarjejeniyar Iran Amma a London da Paris da Berlin, suna ganin sauyin da aka samu yana da wahala a iya dawo wa kan asalin yarjejeniyar. \"Ko E3 suna bibiyar sake duba yarjejeniyar ta JCPOA,\" in ji Aniseh Bassiri Tabrizi ta Rusi. Duk wata yarjejeniya, a cewarta za ta nemi rufe ayyukan Iran a yankin da ci gaban aikinta na makaman ƙare dangi da kuma rage shirinta na bunkasa makamin nukiliya yayin da wa'adin sharuɗɗan yarjejeniyar ke dab kawowa ƙarshe. Gaskiyar cewa wasu ƙasashen yankin da ke adawa da yarjejeniyar JCPOA - kamar Isra'ila da Hadaddiyar Daular Larabawa (UAE) da Bahrain - sun sanya hannu a kwanan nan na inganta huldarsu a yarjejeniyoyin gwamnatin Trump ta ɗauki nauyi da kuma karfafa su sosai zai sa ya yi wuya a yi watsi da buƙatunsu. \"Idan za ku tattauna batun tsaron da ya shafe mu, dole mu kasance a wurin,\" kamar yadda jakadan UAE a Washington, Yousef al-Otaiba, ya shaida wa mahalarta taron ƙara wa juna sani da cibiyar nazarin harkokin tsaro ta Jami'ar Tel Aviv ta shirya. Haka ma daraktan cibiyar ta Isra'ila Amos Yadlin ya jaddada inda ya ce, \"Isra'ila na son ta kasance a teburin tattaunawa da aminanmu a Gabas Ta Tsakiya.\" Iran ita ke da babban makamin ƙare dangi a yankin Gabas Ta tsakiya A nasa bangaren, Sarki Salman na Saudiyya ya yi kira da cewa \"a yanke shawarar kasashen duniya mai tsauri kan Iran.\" Farfaɗo da JCPOA tare da suararen ra'ayoyin masu tsoro da fargaba zai zama wani babban ƙalubale ga Joe Biden. Kuma kada mu manta: wanda zai gada bai gama ba da saura. Kafofin yaɗa labaran Amurka sun ruwaito cewa Mista Trump a makon da ya gabata ya buƙaci manyan masu ba shi sharawa kan hanyoyin da ya kamata a kai wa cbiyar nukiliyar Iran hari, amma hakan bai samu ba Amma har yanzu yana bijerewa tsarin Amurka, inda yake ci gaba da nuna damuwa kan Iran ta hanyar ƙaƙaba mata sabbin takunkumai tun sanar da faɗuwarsa zabe tare da barazanar tsawwala takunkuman. Duk abin da zai yi tsakanin yanzu zuwa ƙarshen watan Janairu, manufar a bayyane take: mayar da komi ya kasance mai wahala ga Biden wajen gyara ɓarnar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51656271", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51740018", "doc1": "ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র শহর মক্কায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভ্রমণ করেন এছাড়া পর্যটন ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ না করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি পবিত্র নগরী মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মস্থান ইসলামের অন্যতম পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত মক্কায়, আর তাঁর কবর মদিনা শহরে। তাই মদিনায়ও প্রচুর মুসলমান ভ্রমণ করেন ধর্মীয় কারণে। বিদেশী পর্যটক বাড়াতে চায় সৌদি আরব তবে জুলাই মাসে আসন্ন হজে যেতে আগ্রহীদের উপর এই স্থগিতাদেশ কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। সৌদি আরবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মুসলমান উমরাহ ও হজ পালন করেন। গত বছর প্রায় ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ পালন করেছিলেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাময়িকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে কতদিন এসব নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ থাকবে, সেটি বলা হয়নি। আরো পড়ুনঃ করোনাভাইরাস: ভাইরাস ছড়ানো বন্যপ্রাণীর সন্ধান চলছে মঙ্গোলীয় চেহারার শিক্ষার্থীদের 'করোনভাইরাস' বলে হেনস্থা কোয়ারেন্টিন করা জাহাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই সৌদি আরবের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে সৌদি আরব বিদেশী পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, গত অক্টোবর থেকে চার লক্ষের মতো টুরিস্ট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। সৌদি আরবে এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তবে প্রতিবেশী দেশ কুয়েত, বাহরাইন, ইরাক ও আরব আমিরাতে করনোভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর সে কারণেই সৌদি আরব বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলে বলা হচ্ছে। তবে বিদেশে অবস্থান করা সৌদি নাগরিকেরা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যান্য খবরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা যেভাবে হবে? পরীক্ষায় নকল করার উপায় বলে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক আয়ের কতটা সঞ্চয় করা উচিত? কীভাবে?", "doc2": "Wata sanarwa da Ma'aikatar Harkokin Cikin Gida ta kasar ta fitar wacce kamfanin dillancin labaran Saudiyyar SPA, ya wallafa a shafinsa na intanet, ta ce an dauki wannan matakin ne domin bayar da hadin kai ga hukumomin lafiya na duniya don shawo kan cutar. Mai magana da yawun Ma'aikatar Harkokin Cikin Gidan ya danganta daukar matakin da kaguwar gwamnatin Saudiyyan na goyon bayan kokarin da duniya ke yi, musamman ma manyan hukumomi irin Hukumar Lafiya Ta Duniya WHO, na hana yaduwar cutar. Amma sanarwar da aka fitar a ranar Laraba ta ce dakatarwar yin Umrar ta dan lokaci ce, kuma hukumomi za su ci gaba da nazari sannan za su janye matakin da zarar dalilan dakatarwar sun kau. Sanarwar ta ce: ''Matakin dakatar da aikin Umrah ga mazauna kasar kari ne kan matakin gwamnati na dakatar da shigar baki masu ibadah Makkah da ziyara zuwa Masallacin Annabi a Madina, da kuma dakatar da shigar masu yawon bude ido daga kasashen da Coronavirus ta fi muni.'' Kazalika mai magana da yawun Ma'aikatar Harkokin Cikin Gidan ya kara da cewa daukar matakin ya zama wajibi ne saboda a takaita yaduwar annobar daga shiga manyan masallatan biyu masu tsarki, wadanda miliyoyin mutane ke shigar su. A ranar Litinin 2 ga watan Maris ne Saudiyya ta tabbatar da samun bullar cutar Coronavirus a karon farko a kasar a jikin wani dan kasar da ya koma kasar daga Iran. A hannu guda kuma, Ministan Lafiya na kasar Dr. Tawfiq bin Fawzan Al-Rabiah, ya tabbatar da cewa sakamakon gwajin da aka yi mutum 51 da suka yi cudanya da mai dauke da cutar ya nuna cewa ba sa dauke da ita. Sai dai ya ce ma'aikatarsa ta lafiya tana jiran sakamakon gwajin sauran mutum 19 din. Matakan da ake dauka a Masallacin Harami Tun bayan bullar cutar a kasar Saudiyya dai an ga yadda hukumomi ke ta kokarin daukar matakan da suka dace a Masallatan biyu, da suka hada samar da man goge hannu a kowace kusurwa da kuma kara yawan lokutan goge masallatan. Sannan an ga yadda jama'a ke amfani da takunkumi don rufe hancinsu da bakinsu. A kasa wasu hotuna ne na shugaban Masallatan Shaikh Abdurrahman Sudais yana tatsar abin goge hannun. Hana Umra a mahangar addini A duk lokacin da aka ce an sa wata doka da za ta hana aiwatar da wata ibada musamman a masallatai masu tsarki, hankalin al'ummar Musualman duniya kan tashi, su fara tunanin ko hakan wani nakasu ne babba. Wannan dalili ne ya sa Halima Umar Saleh ta tuntubi wani babban malamin Islama a Najeriya Dr. Mansur Yalwa, kuma malami a tsangayar koyar da aikin shari'a a Jami'ar Bayero da ke Kano kan yadda yake kallon wannan mataki na hana yin Umra gaba daya. Dr Yalwa ya ce matakin abin a yaba ne sosai, don ya yi daidai da shari'ar Musulunci. ''Ita Shari'ar Musulunci dama an gina ta ne a kan manya-manyan ka'idoji guda biyu na jawo amfani da kuma hana barna. ''Duk abin da ake ganin zai iya jawo barna sai a tare shi tun kafin ya auku, idan kuma ya auku sai a yi kokari a rage yaduwarsa. Wadannan su ne abubuwan da aka gina Shari'ar Musulunci a kansu,'' in ji Malamin. Da aka tambayi malam ko me yake gani idan aka ce an wayi gari babu wani mutum da ke dawafi a Dakin Ka'aba? Sai ya ce wannan magana ce ta mutane. ''Amma ai kaddarar Allah kala biyu ce akwai Kauniyya da Shar'iyya. ''Shar'iyya ita ce duk abin da ke da alaka da a bauta masa a yi masa aiki, Ya yi umarni da kaza ya hana kaza. Kauniyya kuma ita ce mai alaka da rayuwa wadda ba ta da alaka da umarni da hani sai dai abin da aka kaddara zai samu mutum mai kyau ko maras kyau. ''To Shar'iyya ita ce ta nuna cewa a bauta wa Allah a Dakin Ka'aba, to amma kaddararSa kuma Kauniyya tana iya sa ya zama wannan damar da aka samu ta zama an samu tsaiko a kanta. ''Don haka idan aka samu sabani tsakanin kaddara Shar'iyya da Kauniyya, to Kauniyyar ake dorawa a sama. ''Tun da ita za ta iya jawo wa mutane barnar da na fada dazu. Misali Annabi SAW ya ce 'Ka da a kawo marar lafiya a hada shi da mai lafiya.' Kun ga wannan mataki ne na kokarin kariya,'' in ji Malam. Wasu da dama na nuna fargabar cewa wannan lamari na iya janyowa a kasa samun damar yin Umrar azumi ko kuma ma Aikin Hajji gaba daya a bana. Sai dai masana sun ce ko da hakan ta kasance to ba abin fargaba ba ne ga al'ummar Musulmai don kuwa akwai lokacin da ba a yi aikin Hajji ba ma a tarihin Musulunci. Dr Yalwa ya ci gaba da cewa: ''A shekaru ko karnuka na baya akwai lokacin da ba a yi aikin Hajji ba saboda yake-yake ko wasu dalilai. Ko Annabi SAW da kansa akwai lokacin da ya shirya zai je aikin Hajji sai aka hana shi shiga wanda wannan ne ya sa aka yi Sulhun Hudaibiyya, kuma ya hakura bai shiga ba. ''Saboda haka dalili yana iya sakawa a dakatar duk da dai ba haka aka so ba, amma saboda kokarin tsare al'umma kar wannan cutar ta yadu a can, to mu ma muna tare da wannan fatawar. Malam Mansur ya ce yana da yakinin cewa tun da fari kasar Saudiyya ba ta dauki wannan mataki ba sai da ta tuntubi Majalisar Malamanta, ''duk da dai ban ga wata fatawarsu da suka fitar akai ba amma na tabbata lamari irin wannan sai an tuntube su. Amfanin da Saudiyya ke samu daga ayyukan ibada Wannan mataki da Saudiyya ta dauka na nufin ala tilas aka dauke shi idan aka duba irin asarar da ita kanta za ta yi. Kowa ya san yadda kasar ke cin moriyar shigar baki masu zuwa ibada a addinance, da kuma a siyasance da zamantakewa da kuma ta fannin tattalin arziki. ''Haka kawai ba za ta hana zuwa aikin ibadar nan ba don kuwa za ta fi kowace kasa yin asara. Yanzu ga shi ta ce za ta mayar wa mutane kudadensu da suka biya, ai asara ce suka yi amma ba su da yadda za su yi. ''Ba ma fatan abin ya kai lokacin Umrar azumi amma idan har an kai ba yadda za a yi dole a hakura, tun da ai ita Umrar ba ta kai azumin kansa ba. Duk abubuwa na Musulunci ana yinsu ne idan an samu dama, amma in ba a samu dama ba sai a hakura. ''Kuma daukar mataki na riga-kafi don kare yaduwar cuta ai Annabi SAW ne ya dora mu a kansa. Ya ce kar mai lafiya ya shiga garin da annoba ta fito kuma kar na ciki ya fita,'' a cewar Dr. Yalwa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50207081", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50197050", "doc1": "ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি কিন্তু এরপর সিরিয়ায় আইএসের ভবিষ্যত কী? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রোগ্রামের পরিচালক লীনা খাতিব আলোকপাত করেছেন তার ওপর। তিনি বলছেন, আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইএসের অস্তিত্ব ধ্বংস বা সম্পূর্ণ পতন নিশ্চিত হবে না। বরং কাছাকাছি সময়ে সিরিয়ার স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে আইএসের এখনকার ভবিষ্যত, তাতে দলটির নেতা থাকুক আর না থাকুক। আইএসের জন্য বাগদাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা ছিলেন, বিশেষ করে দলটি যখন একটি তথাকথিত রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছিল। বাগদাদিকে হত্যার জন্য চালানো অভিযানের পর সেখানকার পরিস্থিতি যেহেতু খলিফা ছাড়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সে কারণে আইএস বাগদাদিকে জনসম্মুখে একজন শক্তিমান নেতা হিসেবে হাজির করেছিল। যে কারণে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের পতনের পরেও এই গ্রুপের সমর্থকদের বিশ্বাস ছিল একদিন বাগদাদি আবার খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। সাংবাদিক এবং দাতা সংস্থার কর্মী, যারা সিরিয়ার ভেতরে আল-হোল ক্যাম্পে আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রী ও বিধবাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিভিন্ন সময়, তারা জানিয়েছেন, বাগদাদির যেকোন বক্তৃতা তার সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করতো। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্ক অভিযান চালানোর পর, আইএসের সামরিক শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিল, কিন্তু তারা তৎপর ছিল। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় আইএসের স্লিপার সেল বা গোপনে কাজ করে এমন ছোট ছোট দল সুযোগ পেলেই হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর। হোমসের কাছে পালমিরার উত্তরে সোখানা মরুভূমিতে আইএস সিরিয় এবং রুশ স্থাপনার ওপর আলাদাভাবে হামলা চালিয়েছে। কেবল আইএসের নামে নয়, বহু সাবেক আইএস যোদ্ধা উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় স্থানীয় একটি জিহাদি দলে যোগ দিয়েছেন। ইদলিবে আইএস ঘনিষ্ঠ ঐ দলটির নাম হুরাস আল-দ্বীন, এটি আল-কায়েদার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত একটি দল। এই দলটির সীমিত আকারে সামরিক শক্তি থাকলেও স্থানীয়দের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা কম। সিরিয়ায় আইএসের মূল কর্মকাণ্ড উত্তর-পূর্বে দেইর আল-যোওর এলাকায়, বিশেষ করে বসাইরার দক্ষিণে দিবানের দিকে। এ এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে সিরিয় ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এসডিএফ, কিন্তু এলাকাটি কুর্দি অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই সংকটে রয়েছে এসডিএফ। সেখানকার বাসিন্দাদের বড় অংশটি বিভিন্ন আরব গোত্রের, যারা কেবল এসডিএফকেই নয়, বরং ঐ এলাকায় সক্রিয় সিরিয় সামরিক বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীকেও প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আল বাগদাদিকে হত্যার ঘোষণা দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার সরকার এবং ইরানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এই গোত্রগুলো বিক্ষোভ করেছে। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানের আগে, দেইর আল-যোওরে সেখানকার আরব গোত্রসমূহ এবং এসডিএফের মধ্যে নিয়মিত বিবাদ সংঘর্ষ হতো। পরে সেখানে আইএসের তৎপরতা ক্রমে বাড়ে। কয়েক মাস আগে এসডিএফের এক চেকপয়েন্ট থেকে একজন আরব পথচারীকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপরের দুই সপ্তাহে দেইর আল-যোওরে স্লিপার সেলের হামলার সংখ্যা বেড়ে যায়। তুরস্ক অভিযান চালানোর পর, ঐ এলাকায় এসডিএফ যেহেতু সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়, তাদের অনুপস্থিতির এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করে আইএস। সেখানে নিজেদের কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দেয় তারা, যদিও নতুন করে ভূমি দখলের চেষ্টা এবার তারা করেনি। এ সময় দলটি আইইডিএসের ব্যবহার করে, যা তেকে বোঝা যায় তাদের সামরিক সক্ষমতা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসন জানায়, দেইর আল-যোওরে আইএস বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট সেখানকার তেলক্ষেত্রগুলো রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, সেটাও আইএসের কলেবর না বাড়াতে পারার আরেকটি বড় কারণ। এখন কী করতে পারে দলটি? এখন বাগদাদির মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে আইএস তার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনার প্রতিশোধের বার্তা দেবে। কিন্তু শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দলটির যোদ্ধারা যুদ্ধ করে যাবে, এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এখনে আর তাদের মধ্যে নাও দেখা যেতে পারে। মৃত্যুর আগে সিরিয়ায় দলটির নেতা আবু আয়মান আল-ইরাকি মাত্র ছয়জন যোদ্ধাকে নিয়ে এসডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই এ নেমেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে সব কয়জন যোদ্ধা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। আইএসের স্বর্ণ সময়ে এমন পরিস্থিতির কথা কেউ কল্পনাও করতে পারতো না। নতুন নেতা আসবে আইএসে? আইএস হয়তো শীঘ্রই বাগদাদির একজন উত্তরসূরি এবং একজন শীর্ষ নেতা চূড়ান্ত করবে। তবে দলটির কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পরিস্থিতি কেমন থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, বাগদাদি ইদলিবে আছে, সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, কারণ তিনি সেখানে আইএসকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। এদিকে ইদলিবের জিহাদি দল হুরাস আল-দ্বীন আল-কায়েদার প্রতি আনুগত্যের কারণে হায়াত তাহরির আল-শাম নামে আরেকটি ইসলামি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু এই দলটি কিংবা আইএস কেউই সেখানে ততটা জনপ্রিয় না হওয়ায়, এই প্রদেশে আইএস তাদের ঘাঁটি গড়ে তুলবে এমন সম্ভাবনা কম। এছাড়া উত্তর-পূর্বে সিরিয়ার সেনাবাহিনী নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, যদিও তাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত। তাদের সৈন্য সংখ্যা আর সামরিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি যেমন আছে, তেমনি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ছোট কয়েকটি দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছে তারা। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ এখনো কুর্দি যোদ্ধাদের হাতে। একমাত্র আইএস বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট দেইর আল-যোওর ত্যাগ করলেই, আইএস ঐ এলাকা টার্গেট করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা এসডিএফকে প্রত্যাখ্যানকারী আরব গোত্রসমূহের সহায়তা পাবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই জোট সেখানকার তেলক্ষেত্রগুলো ছেড়ে শীঘ্র নড়ছে না। কিন্তু মনে রাখা দরকার, বাগদাদির মৃত্যুকে যদি একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবেও দেখা হয়, তবু সেখানকার স্থানীয় দলগুলোর কোন্দল ও অন্তর্দ্বন্দ্ব আইএসের কাজ করার সুযোগ বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। আরো পড়তে পারেন: সাকিব বনাম বিসিবি, বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা 'সেলফি থেকে জানলাম আমিই চুরি হওয়া শিশু' সৌদি আরব থেকে শ্রমিক ফেরত, চিন্তিত দূতাবাস", "doc2": "An sha ruwaito mutuwar Abu Bakr al-Baghdadi a baya Da yake magana daga cikin fadar White House, Trump ya ce al-Baghdadi ya tarwatsa kansa ne da rigar bam da ke jikinsa bayan dakaru na musamman sun ritsa shi a karshen wata hanyar karkashin kasa. Al-Baghdadi ya shahara a duniya a shekarar 2014 bayan ya ayyana wasu yankuna na Iraki da Syria a matsayin \"daular Musulunci\". A wani jawabi da ba a saba ganin irinsa ba, Mista Trump ya ce Baghdadi ya mutu ne bayan ya tsere zuwa wata hanya maras bullewa, \"yana ihu tare da neman dauki\" yayin da karnuka ke biye da shi. Al-Baghdadi yana tare da 'ya'yansa guda uku, in ji Trump, sannan ya tayar da bam din da ke jikinsa, abin da ya yi sanadiyyar kashe su duka. Ya kara da cewa bam din ya yi watsa-watsa da jikinsa amma gwajin kwayar halitta ya tabbatar da cewa shi gawarsa ce. \"Dan daban da ya yi kokarin tilasta wa mutane ya kare lokutan karshe na rayuwarsa ne cikin matsanancin tashin hankali da kuma tsoron sojojin Amurka,\" Mista Trump ya bayyana. Kungiyar IS ta haddasa kashe-kashe da barna iri-iri, abin da ya jawo mutuwar dubban mutane. Masu ikirarin jihadin sun saka dokoki masu tsaurin gaske a kan kusan mutum miliyan takwas da ke karkashin ikonsu sannan suka kai hare-hare da dama a fadin duniya. A farkon wannan shekarar ne Amurka ta ce ta rusa\"daular\". Tun farko dai Trump ya wallafa a shafinsa na Twitter cewa: \"Wani babban lamari ya faru yanzun nan!\" A baya dai an sha bayar da rahotannin mutuwar shugaban kungiyar ta IS. Wani kwamandan mayakan Kurdawa a karkashin kungiyar Syrian Democratic Forces mai suna Mazloum Abdi ya ce \"wani hari mai cike da tarihi da nasara\" na hadin gwiwa da sojojin Amurka ya haifar da sakamako mai kyau."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-49484520", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46096041", "doc1": "ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা অবৈধ, অন্যায্য এবং অযৌক্তিক ''এই পদক্ষেপ ছাড়া এই তালা খোলা যাবে না,'' মি: রুহানি বলেন। একদিন আগে অর্থাৎ সোমবারই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন পরিস্থিতি অনুকূল হলে তিনি বৈঠকে বসতে রাজি আছেন। মি: ট্রাম্প গত বছর ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সীমিত করার চুক্তি বাতিল করে দেন এবং আবার নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর পর থেকেই আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। মি: ট্রাম্প একটা নতুন চুক্তি চান যে চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য গুটিয়ে আনা যাবে এবং যে চুক্তির আওতায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করতে পারবে ন। ইরান এই প্র্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে। ২০১৫ সালে সম্পাদিত চুক্তির সঙ্গে জড়িত বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া এই চুক্তিটি চালু রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের তেল রপ্তানি ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের মুদ্রার মূল্যমান পড়ে গেছে এবং ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। আমেরিকা এবছরের গোড়ার দিকে ইরানের তেল রপ্তানি শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হবার পর, ইরান এর জবাবে ওই পারমাণবিক চুক্তির অধীন কিছু প্রতিশ্রুতি মানার বিষয়টি স্থগিত করে দিয়েছে। ইরান হুমকি দিয়েছে নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে তাদের অর্থনীতিকে রক্ষার ব্যবস্থা করা না হলে তারা আরও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে? ইরানের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন গুরুতর নয় -ইইউ ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামাতে চান ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় এলাকায় বিদেশি জাহাজের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। মি: ট্রাম্প সোমবার কি বলেছেন? ফ্রান্সের বিয়ারিৎজে জি-সেভেন শিল্পোন্নত গোষ্ঠির শীর্ষ সম্মেলনের পর এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছিলেন তিনি মি: রুহানিকে টেলিফোন করে কথা বলেছেন। তিনি মি: রুহানিকে তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যদি তিনি বৈঠকে বসতে রাজি হন, তাহলে ''একটা চুক্তিতে পৌঁছন সম্ভব হবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস''। ''আমার আশা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা একটা শীর্ষ বৈঠক করতে পারব।\" মি: ট্রাম্প বলেছেন ইরানের নেতৃত্বে কোন পরিবর্তন আমেরিকা চায় না মি: ট্রাম্প বলেছেন এরকম বৈঠক বাস্তবসম্মত এবং তিনি বলেছেন ইরানের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অন্যান্য দেশ যাতে ইরানকে অর্থ ঋণ দিতে পারে সেটা দেখার জন্য ইতোমধ্যেই কথাবার্তা চলছে। ''আমার একটা ইতিবাচক অনুভূতি হচ্ছে। আমার ধারণা তিনি (প্রেসিডেন্ট রুহানি) বৈঠকে বসতে চান এবং তাদের অবস্থার একটা সমাধান করতে চান। এই নিষেধাজ্ঞা তাদের খুবই ক্ষতি করছে,'' বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি: ট্রাম্প এবং মি: রুহানি দুজনেই সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন। ১৯৭৯-৮১-তে মার্কিন দূতাবাসে পণবন্দী সঙ্কটের পর এই প্রথমবার আমেরিকান এবং ইরানী দুই নেতা মুখোমুখি হবেন। মি: রুহানির প্রতিক্রিয়া কি? মঙ্গলবার তেহরানের এক অনুষ্ঠানে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন তিনি সবসময়েই কথা বলতে রাজি, তবে তার আগে আমেরিকাকে ইরানের ওপর থেকে অবৈধভাবে আরোপ করা, অন্যায্য এবং অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।'' তিনি আরও বলেছেন: ''আমেরিকা যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয় এবং তারা যে ভুল পথে হাঁটছে তা থেকে সরে না আসে, আমরা কোন ইতিবাচক অগ্রগতি দেখব না। একটা ইতিবাচক অগ্রগতির চাবিকাঠি আমেরিকার হাতে।'' যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ইরানিদের যে পাঁচটি ক্ষতি হচ্ছে মি: রুহানি বলেছেন মি: ট্রাম্পের একমাত্র উদ্বেগ যদি হয় ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করল কিনা, তাহলে তো আর চিন্তার কিছু থাকে না। ''আমরা কোন ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরি করছি না, আণবিকও না বা রাসায়নিকও না। সেটা আপনার চোখ রাঙানো বা ভয়ভীতির কারণে নয়, আমরা এটা করছি না আমাদের বিশ্বাস ও নৈতিকতার কারণে। আমাদের সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়াও তাই।'' ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই ২০০৩ সালে একটি ফতোয়া দিয়েছিলেন বলে খবরে জানা যায় যেখানে তিনি বলেছিলেন ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি প্রত্যাখান করে। কিন্তু ইরান যে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে না সেটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্বাস করে নি এবং ২০১৫ সালে তারা একটি চুক্তি সম্পাদন করে যাতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ ইলিশ গাইড: নদীর ইলিশ যেভাবে চিনবেন", "doc2": "Sake kakaba wa Iran takunkumai ya harzukan 'yan kasar Gwamnatin Shugaba Donald Trump ta sake sanya wa Iran dukkan takunkuman da aka janye mata lokacin yarjejeniyar da za ta kai ta ga daina keta makamashin nukiliya a 2015. Takunkuman za su haramta wa kasar fitar da mai da fitar da kayayyaki da kuma dakatar da hulda da bankuna, lamarin da zai yi wa kasar wahala ta samu masu huldar kasuwanci da ita. Amma Mr Rouhani ya yi kakkausar suka ga Amurka, yana mai cewa Iran \"za ta ci gaba da csayar da fetur dinta.\" \"Za mu karya takunkuman da suka sanya mana,\" in ji shi, a wurin da ya yi da jam'an kula da tattalin arziki. Kasashen Turai wadanda ke cikin yarjejeniyar janye wa Iran takunkuman sun ce za su ci gaba da gudanar da huldar kasuwanci da ita da niyyar hana takunkuman yin tasiri. Sai dai ba a san hanyar da za su bi domin aiwatar da wannana manufar ba. Yaya aka tsinki kai a wannan yanayi? A farkon wannan shekarar ne Shugaba Donald Trump ya janye Amurka daga yarjejeniyar ta nukiliya, wacce ya bayyana a matsayin \"mafi muni da aka amince da ita\". Yarjejeniyar ta bukaci Iran ta daina kera makamashin nukiliya yayin da za a cire takunkuman da aka sanya mata. Hukumar da ke sanya ido kan makamashin nukiliya ta duniya IAEA ta ce Iran tana biyayya ga yarjejeniyar. Sai dai Mr Trump ya ce yana so a koma kan teburin sulhu da Iran domin sake tattaunawa kan batun. Mr Trump ya dauki mataki tsattsaura a kan Iran fiye da Barack Obama Gwamnatinsa ta ce tana so ta hana Iran abin da ta kira \"gudanar da wasu ayyukan masu keta dokoki\" cikin har da kai hare-hare a shafukan intanet da gwajin makamai masu cin gajeren-zango da kuma goyon bayan kungiyoyin masu tayar da kayar baya a yankin Gabas ta Tsakiya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48375780", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/wasanni-55534349", "doc1": "ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো গত বছর বলেছিলেন, অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৪৮ করার বিষয়টি ২০২৬ সাল থেকে এগিয়ে ২০২২ সালে আনা হতে পারে। ২০২২ সালে যদি ৪৮টি দেশ অংশ নিতো তাহলে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ কাতারের পাশাপাশি অন্য দেশেও আয়োজন করতে হতো। কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা না বাড়ানোর বিষয়টি ফিফার এক দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফিফা বলেছে, ৪৮ টি দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন কাতার করতে পারে কিনা সেটি বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেছে। ফিফা মনে করছে, এখন এর বিষয়টি নিয়ে এগুনো ঠিক হবেনা। কারণ এটি বাস্তবায়ন করার মতো যথেষ্ট সময় নেই। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সে বিষয়টিকে কাতার খোলা মনে দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, \"টুর্নামেন্ট-এর এখন সাড়ে তিনবছর বাকি আছে। ৩২ টি দেশের অংশগ্রহণে এ যাবত-কালের সবচেয়ে ভালো বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার বদ্ধপরিকর বদ্ধপরিকর।\" ২০২২ সালের বিশ্বকাপ সমগ্র আরব বিশ্বকে গৌরবান্বিত করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে ইউরোপিয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতার বিশ্বকাপে ১৬টি বাড়তি দলের অংশ নিলে বহু সমস্যা তৈরি হবে এবং বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব কাতারের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। রাশিয়ার অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টর সময় এ ছবি তোলা হয়েছিল। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি না করার বিষয়টি কাতারের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ, বিশ্বকাপের আসর কাতারকে ভাগাভাগি করতে হবে না। গত প্রায় দেড় বছর যাবত কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। সুতরাং কাতারের পাশাপাশি এসব দেশে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ আয়োজন এতো সহজ ছিল না। ফলে বাকি ছিল কুয়েত এবং ওমান। কিন্তু এ দুটো দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের অবকাঠামো নেই। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফিফার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা হবে ৪৮টি। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা সম্মিলিতভাবে এ আয়োজন করবে। ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপ ফুটবলের বিস্তার ঘটানোর পক্ষে। তিনি মনে করেন, এই টুর্নামেন্ট-এ আরো দেশের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। তিনি মনে করেন, ফুটবল শুধু ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিষয় নয়। এটি বৈশ্বিক বিষয়। দেশের সংখ্যা ৪৮ টি হলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ থেকে ৮০ তে উন্নীত হবে। তবে টুর্নামেন্ট ৩২ দিনের মধ্যেই শেষ হবে।", "doc2": "An bayyana alƙalan wasa bakwai da mataimaka 12 da za su gudanar da aikin har da masu kula da na'urar da ke taimakawa alkalin wasa yanke hukunci wao VAR. Mata uku da aka zaɓa sun hada da Edin Alves Batista wadda ta hura wasa a gasar matasa ta duniya ta 'yan kasa da shekara 17 a Indiya a 2017 da Esther Staubli da kuma Claudia Umpierrez, wadda ta alƙalanci wasa biyu a gasar cin kofin duniya ta matasa 'yan kasa da shekara 17 da aka yi a Brazil a 2019. A karshen makon nan ake sa ran dukkan alƙalan da aka zabo za su kammala shirye-shiryen gabatar da kansu a Qatar, kafin gasar ta kankama. Haka kuma kasar da za ta karbi bakunci da kuma Fifa za su gabatar da dukkan matakan kariyar yada cutar korona a lokacin gudanar da gasar da ya kamata a buga a badi, amma aka dage saboda bullar annobar. Ranar 19 ga watan Janairu za a yi bikin raba jadawalin zakarun nahiyoyin da za su kara a tsakaninsu. Za kuma a fara wasannin a Doha tsakanin 1 zuwa 11 ga watan Fabrairun 2021, inda ake sa ran buga wasan karshe ranar 11 ga watan Fabrairu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54781550", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54777056", "doc1": "মিশি খান, লাতিফ ওজদেমির এবং হিবা মোহামেদ মুসা। এসব দেশের কিছু কিছু সুপারমার্কেটের শেল্ফ থেকে 'মেইড ইন ফ্রান্স' লেবেল লাগানো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সোশাল মিডিয়াতেও বয়কটফ্রেঞ্চপ্রডাক্টস এর মতো হ্যাশট্যাগ শেয়ার করা হচ্ছে। ফ্রান্সে এক স্কুল শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করার পর ইসলাম সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর মন্তব্যের জের ধরে মুসলিম দেশগুলোতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে পড়ানোর সময় ইসলামীর নবীর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। এর পরেই তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করে 'কট্টর ইসলামের' বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। মি. ম্যাক্রঁ বলেন, ওই শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে \"কারণ ইসলামপন্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু ফ্রান্স এসব কার্টুন প্রকাশ বন্ধ করবে না।\" এর আগে ২০০৬ সালে শার্লি এব্দো ম্যাগাজিনে ইসলামের নবীর কিছু কার্টুন প্রকাশিত হলে তখনও সারা বিশ্বে বহু মুসলিম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। ধর্মনিরপেক্ষতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করায় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ তার দেশের ভেতরে প্রশংসিত হয়েছেন। পরে নিস শহরে একটি গির্জায় চালানো হামলায় আরো তিনজন নিহত হয় এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এই হামলাকেও \"ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলা\" বলে উল্লেখ করেন। তবে বাংলাদেশসহ মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন দেশে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছে। বিবিসি তিন নারীর সঙ্গে কথা বলেছে - যারা ফরাসি পণ্য আর না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিশি খান, অভিনেত্রী, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান পাকিস্তানি অভিনেত্রী মিশি খান। আমি ফরাসি পণ্য ব্যবহার করতাম, বিশেষ করে ল'রিয়েল। এটা পাকিস্তানে খুব সহজে পাওয়া যায়। এখন আমি কিছু কেনার আগে তার গায়ে লাগানো লেবেল দেখে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি যে সেটা ফ্রান্সের তৈরি কোন পণ্য নয়। ফরাসি পণ্যের বদলে আমি এখন পাকিস্তানি পণ্য ব্যবহার করছি। কেন? কারণ একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হঠাৎ করে একদিন জেগে ওঠে সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অপমান করতে পারেন না। আমি সোশাল মিডিয়াতে সবাইকে আহবান জানাচ্ছি ফরাসি পণ্য বয়কট করার জন্য। আমার বিবেক অত্যন্ত পরিষ্কার, কারণ ইসলামের পক্ষে আমার অবস্থান তুলে ধরার জন্যই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরো পড়তে পারেন: ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ মুসলিমদের বিক্ষোভ নিয়ে যা বললেন ম্যাক্রঁকে 'মানসিক চিকিৎসা' করাতে বলে ফ্রান্সের রোষানলে এরদোয়ান নবীর কার্টুন দেখানো শিক্ষকের শিরশ্ছেদ নিয়ে উত্তাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ‘ ফ্রান্স আমাদের ধর্ম ও নবীকে নিয়ে অনেকে মজা করেছে। যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। যারা ইসলামকে অপমান করেছে তাদেরকে আমরা ক্ষমা করে আসছিলাম কিন্তু এখন আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার মনে হয় ম্যাক্রঁ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা যেন কাউকে চিমটি কেটে, 'এই তুমি কি ব্যথা পাচ্ছ' এরকম কিছু জিজ্ঞেস করার মতো। আমার মনে হয় এটা আরো বড় কিছুর অংশ- আমার ধারণা তিনি ঘৃণা তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি লোকজনকে বিভক্ত করছেন এবং উস্কানি দিচ্ছেন। তিনি অনিষ্টকর এবং তার বক্তব্য ইসলাম-বিদ্বেষকে আরো ছড়িয়ে দেবে। একটি দেশের প্রেসিডেন্ট যা বলেন সেটি তার দেশের জনগণকে প্রভাবিত করে। তার তো উচিত ছিল সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং সবাইকে সমানভাবে সম্মান জানানো। আমি যখন প্রথম শার্লি এব্দোর কার্টুনগুলো দেখি, তখন নির্বাক হয়ে যাই। প্রথমে আমি এগুলো এড়িয়ে চলি কিন্তু পরে যখন দেখি আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। আমি কেঁদে ফেলি। আমি আল্লাহকে প্রশ্ন করি, \"কেন আমি এমন জিনিস দেখতে গেলাম?\" লাতিফ ওজদেমির, ছাত্রী, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক তুরস্কের ছাত্রী লাতিফ ওজদেমির। আমি প্রায় প্রতিদিনই কিছু ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করতাম। তার মধ্যে রয়েছে গার্নিয়ে, লাকুম এবং বিআইসি। কিন্তু এই ঘটনার পর আমি এসব পণ্যের কোনটাই আমি আর কিনবো না। ফরাসি পণ্য আমি বয়কট করছি - কারণ আমি বলতে চাই যে আমরা এটা আর গ্রহণ করবো না। আমি ফ্রান্সের ইসলাম-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাই। মুসলিম হিসেবে এবিষয়ে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আমরা অনেকদিন হল চুপ করে আছি। ঠিক এখন আমরা যেটা করতে পারি তা হল - পণ্য বর্জন করা। শার্লি এব্দো আরেকটি আক্রমণাত্মক কার্টুন প্রকাশ করেছে যাতে আমাদের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে দেখানো হয়েছে যে তিনি প্যান্ট পরেন নি, শুধু একটি টি-শার্ট পরে আছেন। তার এক হাতে বিয়ার এবং আরেক হাত দিয়ে হিজাব পরিহিত মুসলিম এক নারীর স্কার্ট তুলে ধরেছেন। যারা হিজাব পরেন তাদেরকে এই কার্টুন আহত করবে। আমার মতো মুসলিম নারীরা প্রতিদিনই ইসলামের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে সংগ্রাম করছেন। সমাজে তারা আর সকলের সমান একটা অবস্থান গড়ে তুলতে চায়। চায় তাদেরকে যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এই কার্টুন দেখলে মনে হয় ইউরোপ কখনোই আমাদেরকে একজন অমুসলিম নারীর সমান করে দেখবে না - যা আমাদের জন্য সত্যি দুঃখজনক। কার্টুন এবং স্যাটায়ার গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক এবং চিন্তাকে উস্কে দেয়। কিন্তু ইউরোপ মুসলিমদের গৎবাঁধা চিত্র তুলে ধরছে। এধরনের কার্টুন এঁকে প্রতিবারই আগুনে আরো বেশি করে তেল ঢালা হচ্ছে। আমরা কি এরকম কিছু চাই যে এই বিশ্বে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে আমরা একে অপরকে আক্রমণ ও ঘৃণা করবো? হিবা মোহামেদ মুসা, ছাত্রী, নুয়াকচট, মৌরিতানিয়া মৌরিতানিয়ার ছাত্রী হিবা মোহামেদ মুসা। ফ্রান্সে যা হচ্ছে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভে আমি আমার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে যোগ দিয়েছি। ফরাসি অর্থনীতি ধসে পড়বে এই আশায় আমরা ফরাসি পণ্য বয়কট করছি। আশা করছি যে ম্যাক্রঁ ঘৃণাসূচক বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুশো কোটি মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইবেন লাফিং কাউ চিজের বদলে আমরা এখন তুর্কী পণ্য ক্রয় করছি। আমার কাছে লাকোস্টের মতো কিছু ফরাসি পারফিউম ছিল। এসব বোতল শেষ হয়ে গেলে আমি এটা আর কিনছি না। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যাতে ক্ষমা চান এই দাবি জানিয়ে আমি তাকে একটি চিঠি লিখেছি। চিঠিতে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি, যদি তার শিক্ষক সম্মান জানানোর মতো মানুষ হন, তাহলে আমাদের নবীদের বেলায় কী হবে, তারাও তো শিক্ষক! আমাদেরকে যেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ করেছে তা হল তার ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্যে ইসলামকে বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা। এটা অন্যায় এবং উস্কানি যা আমরা আর সহ্য করতে পারবো না। ফ্রান্সের মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্ট এমন ছবির পক্ষে কথা বলতে পারেন না যা একটি জনগোষ্ঠীর জন্য অপমানজনক। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। বরং এটা হচ্ছে বিশেষ একটি ধর্মীয় গ্রুপের ওপর আক্রমণ। এটা খুবই সস্তা একটি বিষয়। এর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় কিছু অর্জন করতে চান। শার্লি এব্দোতে প্রথম কবে ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশ করা হয়েছিল সেটা আমি মনে করতে পারি না। আমি খুব ছোট ছিলাম। কিন্তু ওই ম্যাগাজিনের অফিসে হামলার কথা আমার মনে আছে। সোশাল মিডিয়াতে সবাই তাদের প্রোফাইল ছবি বদলে সেখানে তুলে ধরছিল \"আমিই শার্লি\" এধরনের বক্তব্য। সেসময় আমি ওই কার্টুনগুলো দেখা এড়িয়ে চলি। কিন্তু পরে আমি টুইটারে সেসব দেখতে পাই। সেসময় আমি অপমানিত বোধ করি। ইসলামকে কেন ইহুদি বা খৃস্টান ধর্মের মতো সম্মান করা যায় না?", "doc2": "Mishi Khan, da Latife Ozdemir da Hiba Mohamed Moussa, dukkansu na goyon bayan kauracewa kayan Faransa Shaguna da dama sun cire dukkanin kayan da aka rubuta sunan Faransa a jikinsu, sannan maudu'in neman a kauracewa kayan ya samu karɓuwa sosai a shafukan sada zumunta, akalla mutane dubu dari ne suka yi tsokaci a kai a mako guda. Martanin na zuwa ne, bayan kalaman shugaban Faransa Emmanuel Macron, sakamakon kisan malamin makarantar nan da ya nuna zanen Annabi Muhammad (S A W) ga ɗalibansa yayin da yake basu darasi dangane da 'yancin albarkacin baki. Shugaba Macron ya ce ''An kashe malamin ne, saboda masu kaifin kishin islama na son karbe ragamar alkiblarmu'', amma Faransa ''ba zata janye zanen barkwancin ba.'' Zanen da ake magana na nuna wani mutumi da aka bayyana a matsayin Annabi Muhammad, kuma an wallafa shi ne a jaridar barkwanci ta Charlie Hebdo tun shekarar 2006, lamarin da ya ɓata ran musulmin duniya saboda yadda suke ganin cewa hakan batanci ne ga Annabi. Shugaban na Faransa ya samu yabo da jinjina a wajen 'yan ƙasar da dama sakamakon kare Faransa, a matsayinta na 'yar ba ruwana da kowane addini. Sai dai a kasashen musulmai lamarin ba haka yake ba, domin kyara da tsanar shugaban ce ta samu wajen zama, baya ga dubban mutanen da suka kwarara a kan tituna suna Allah-wadai da kamalansa. Mishi Khan - Tauraruwa ce da ke zaune a Islamabad a Pakistan A cewar tauraruwar fina-finan Pakistan Mishi Khan: 'Mun gaji da irin cikin kashin da mutane ke yi wa addininmu'' Na kasance mai amfani da kayan kwalliyar da ake samarwa a Faransa, musamman man gashi na L'Oréal wanda ake samun shi cikin sauki a nan Pakistan. Amma a yanzu ina karanta rubutun da ke jikin komai da na siya, domin in tabbatar da cewa ban saki kayan da aka samar a Faransa ba. A yanzu, na maye gurbin kayan Faransa da nake saya da na nan gida Pakistan. Kun san dalili ? - saboda bai kamata ace shugaban wata kasa ya wayi gari kawai ya hau cin mutuncin wani addini da masu bin sa ba. Yanzu haka ina ta kiran mutane a shafukan sada zumunta su kauracewa kayan Faransa. dalilina a bayyana yake, ina yin hakan ne domin in kare addinin musulunci. Mun gashi da irin yadda wasu mutane ke bara addinin da muke bi da kuma wani ya fi mana kowa wato Annabi Muhammad, muna ta yafe wa wadanda ke yin haka, to yanzu an kai mu bango!. Ina ganin Macron na yin abin da yake yi ne da gan-gan domin kuntatawa al'ummar musulmai, kamar ka yakushi mutun ne sannan kace masa ''Ji mana, da zafi?'. Ya yi kuskure, sannan kalamansa na iya janyo kyamar musulmai, wanne shugaban kasa ne zai gwara kan 'yan kasarsa in ba shi ba ?.ai kamata ya yi ace ya hada kan jama'a. Lokacin da na fara ganin zanen Charlie Hebdo, na ji takaici, rasa me zance na yi, na kauracewa ganin hoton tsawon lokaci, amma lokacin da na gani gaskiya raina ya baci, na yi kuka sosai. Latife Ozdemir - Daliba ce a birnin Santambul dake Turkiyya Ɗaliba 'yan Turkiyya Latife Ozdemir ta kauracewa kayan Faransa domin yaƙi da kyamar musulmai Kayan Lancôme, da Garnier da BIC dukkansu kaya ne da nake amfani da su kusan yau da kullum, amma bayan abin da ya faru, daga yanzu na daina siyansu. Na dauki wannan mataki ne saboda in nuna wa duniya cewa daga yanzu mun daina yadda da irin wannan. Yana da muhimmanci ga mu musulmai mu yi Allah wadai da wannan abu, ya kama a ji mu, domin an dade ana toshe mana baki. Mujallar Charlie Hebdo ta sake wallafa wani hoton ɓatanci da ke nuna shugaban mu Recep Tayyin Erdogan, yana sanye da karamar riga ba wando yayin da ya daga kwalbar barasa, sannan ya ɗaga wandon wata mata musulma sanye da hijabi. A matsayi na na macen da ke sanya hijabi na ji takaici matuka dangane da abin da na gani. Mata musulmai iri na na kokari ba dare ba rana domin kare martabar addinin musulunci da kuma samun damar damawa da mu a al'amura, wannan na iya kawo mana koma baya. Wannan zane da na gani na nuna mana cewa mata ba komai ba ne, sannan kasashen yamma ba za su taba kallonmu a matsayin dai-dai da wadanda ba musulmai ba. Kamata ya yi ace zanen barkwanci na haifar da tunani mai zurfi, amma a maimakon haka suna amfani da wannan hanya wajen cin zarafin musulunci da musulmai. Zane irin wannan, na kara rura wutar al'amura ne kawai, bana jin haka muke fatan duniyar ta kasance, ace wannan na kyarar wannan ko wannan na cin zarafin wannan. Hiba Mohamed Moussa -Daliba a Mauritania Hiba Mohamed na son Macron ya fito ya nemi afuwar biliyoyin Musulmi bisa kalamansa Na shiga zanga-zangar da aka yi a Nouakchott tare da dukkanin 'yan gidanmu, da sauran abokai, domin yin Allah wadai da abin da ke faruwa a Faransa. Mun kauracewa dukkanin kayan Faransa, bisa fatan tattalin arzikin kasar zai rushe, sannan Macron ya nemi afuwar al'ummar musulmai biliyan biyu da ya batawa rai da munanan kalamansa. A baya ina amfani da turarukan da ake samarwa a Faransa, kamar Lacoste amma da zarar wanda nake da shi ya kare, bazan sake siya ba kuma. Na rubutawa shugaba Emmanuel Macron wasiƙa, ina neman ya nemi afuwarmu. a cikin wasikar na tambaye shi ko malamin da aka kashe ya cancanci a girmama shi? to shi kuma Annabinmu fa? Wadanda shi ma malami ne. Abin da ya fi tsaya mana a wuya shi ne kalamansa na kyamar musulunci, tare da bayyana addininmu a matsayin wanda ke goyon bayan a kashe, wannan rashin adalci ne, da kuma kokarin angiza mu, ba zamu lamunci hakan ba. Zancen gaskiya shi ne ace shugaban wata ƙasa kamar Faransa ya dauki wasu hotuna da ke zaman ɓatanci ga wani bangare guda sannan ya goyi bayan abin da aka yi ba 'yancin fadin albarkacin baki ba ne. Na yi ƙankanta in iya tuna lokacin da mujallar Charlie Hebdo ta tizanen barkwancin Annabi, amma ina iya tuna lokacin da aka kai wa ofishinta hari, har kowa ya rika canja hotonsa na shafukan sada zumunta zuwa tutar Faransa domin taya su jimami. Tun daga nan nan na rika kokarin kaucewa ganin irin wadannan hotunan, amma ranar nan ina cikin duba Twitter, kwatsam sai ga hoton na gani, na ji takaici, me ya sa ba za a mutunta addinin musulunci kamar yahudawa ba da kiristanci?"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51907193", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51330401", "doc1": "শুকনো সাপ চীনের ঐতিহ্যগত ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয় বুনো প্রাণীর অবৈধ কেনাবেচার জন্যও ওই বাজারের পরিচিতি রয়েছে, যেখানে সাপ, র‍্যাকুন (উত্তর আমেরিকার একটি প্রাণী), বা সজারুর মতো প্রাণী খাঁচায় রেখে খাবার অথবা ঔষধ হিসাবে বিক্রি করা হতো। তবে পুরো প্রদেশটি কোয়ারেন্টিন করে ফেলার পর সেই বাজার বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বের মধ্যে চীনেই সবরকম বৈধ ও অবৈধ বুনো প্রাণীর সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উৎস বাদুড় থেকে হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। কিন্তু তাদের ধারণা, ভাইরাসটি অন্য আরেকটি প্রাণীর শরীরে প্রথমে স্থানান্তরিত হয়েছে, যদিও সেই প্রাণীটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তারপরে সেটি মানুষের শরীরে এসেছে। ঐতিহ্যগতভাবে বুনো পণ্যের বিশাল চাহিদা রয়েছে চীনে। কিছু প্রাণী খাওয়া হয় সেগুলো সুস্বাদু বলে, আবার কিছু প্রাণী খাওয়া হয় সেগুলোর প্রাচীন ঔষধি গুণ রয়েছে বিবেচনা করে। চীনের অনেক প্রদেশের রেস্তোরাঁয় বাদুড়ের সুপ (যেখানে পুরো একটি বাদুড় দেয়া হয়), বাঘের অণ্ডকোষ দিয়ে অথবা গন্ধগোকুলের (পাম সিভেট) শরীরের অংশ দিয়ে তৈরি করা সুপ বিক্রি করা হয়। অনেক রেস্তোরাঁয় খাদ্য তালিকায় গোখরা সাপের ভাজা, অল্প আঁচে রান্না করা ভালুকের পা, বাঘের মেরুদণ্ড দিয়ে তৈরি করা ওয়াইনও থাকে। আরো পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী: কিভাবে সার্স রোগের মোকাবিলা করেছিল হংকং ভাইরাস রোধে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কী নিতে পারে করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর বেশ কয়েকটি পাখির প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য চীনের বন্যপ্রাণীর ব্যবসাকে দায়ী করা হয়। অনেক নীরব এলাকার বুনোপ্রাণীর বাজারে ইঁদুর, বিড়াল, সাপ এবং পাখির অনেক প্রজাতি বিক্রি হয়, যার মধ্যে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা অনেক প্রাণীও রয়েছে। ''দ্যা নোশন অফ ইয়েওয়ি'' ( চীনা ভাষায় যার অর্থ বুনো স্বাদ) হচ্ছে চীন জুড়ে প্রচলিত একটি পারিবারিক পরিভাষা, যার মধ্যে সংস্কৃতিগতভাবে দুঃসাহসিক কাজ, সাহস, কৌতূহল ইত্যাদির মিশ্রণ রয়েছে,'' - বলে মন্তব্য করেছেন চীনে বুনো প্রাণীর বাণিজ্য নিয়ে অনুসন্ধানকারী আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার একজন কর্মকর্তা। চীনের অনেক ঐতিহ্যগত ঔষধের প্রাথমিক উপকরণ হিসাবে বন্যপ্রাণী পণ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই বিশ্বাসে যে, এর মধ্যে পুরুষত্বহীনতা, বাত এবং গেঁটেবাতের মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। বিলুপ্তির হুমকি প্যাঙ্গোলিনের (একধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণী, যার শরীর খোলসে ঢাকা থাকে) অসম্ভব চাহিদার কারণে এর মধ্যেই এই প্রাণীটি চীন থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য অংশেও এই প্রাণীটি এখন সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া বুনো প্রাণী। চীনের ঐতিহ্যগত ঔষধে গণ্ডারের শিংয়ের ব্যাপক ব্যবহার আরেকটি উদাহরণ, যার ফলে এই প্রজাতিও এখন বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব কিছুই এমন সময়ে ঘটছে যখন ধারণা করা হচ্ছে যে, মানব শরীরে সংক্রমণের ৭০ শতাংশই আসছে প্রাণী থেকে, বিশেষ করে বন্যপ্রাণী থেকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে চীনের বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের ওপর নতুন করে সবার চোখ পড়েছে, যার বিরুদ্ধে বিশ্বের সংরক্ষণ গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে, কারণ এর ফলে অনেকগুলো প্রাণীর প্রজাতি হুমকির মুখে পড়েছে। সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবের ফলে চীনের কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যাতে ভাইরাসটি আর ছড়িয়ে না পড়ে। তবে সংরক্ষণবাদীরা এই সুযোগ ব্যবহার করে স্থায়ী একটি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের একটি বন্যপ্রাণীর বাজারের সিভেট ক্যাট থেকে হয়েছিল বলে জানা গেছে চীন কী শুনবে? করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের ফলে অবৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য বন্ধ আর জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়াসে ভূমিকা রাখতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু একেবারে অসম্ভব নয়। সার্স ও মার্স ভাইরাসও বাদুড় থেকে সংক্রমিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সেগুলো মানব শরীরে এসেছিল ক্যাভেট ক্যাট আর উটের মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডক্টর বেন এমবারেক বলছেন, ''বন্যপ্রাণীর অনেক প্রজাতি এবং তাদের আবাসস্থলের খুব কাছাকাছি চলে আসছি আমরা, যা আগে কখনো আসিনি।'' ''এ কারণে আমাদের অনেকগুলো নতুন ধরণের রোগ দেখা যাচ্ছে, যার অনেকগুলোয় এমন সব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবীর সংস্পর্শে হচ্ছে, যা আগে কখনো হয়নি।'' সাম্প্রতিক একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পাঁচ হাজারের বেশি প্রজাতির স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ এবং উভচর প্রজাতির প্রাণী বিশ্ব বাজারে বৈধ বা অবৈধভাবে কেনাবেচা হচ্ছে। বিশ্বে অবৈধ বুনো প্রাণীর বাজার প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারের। মাদক ব্যবসা, মানব পাচার আর জাল ব্যবসার পরেই এই বন্যপ্রাণীর ব্যবসার অবস্থান। চীনে বন্যপ্রাণীর মাংস খাবার এবং ঔষধ হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় সতর্কতার আহবান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, ''এই স্বাস্থ্য সংকটের বিষয়টিকে বিলুপ্তপ্রায় পশু ও তাদের শরীরের অংশের অবিরাম ব্যবহার বন্ধের একটি সতর্কবার্তা হিসাবে দেখতে হবে, যাতে এগুলো খাবার বা ঔষধ হিসাবে আর ব্যবহার করা না হয়।'' তবে চীনের সরকার পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞাটি সাময়িক। ''জাতীয় প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি শেষ হয়েছে, এরকম ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্যপ্রাণী সংগ্রহে রাখা, বহন বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকবে।'' চীনের সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে। ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর একই রকম ঘোষণা দিয়েছিল বেইজিং। তবে চীনের সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, সেবার ওই ঘোষণার কয়েক মাস পরে কর্তৃপক্ষ শিথিলতা দেখাতে শুরু করে এবং চীনে বন্যপ্রাণীর বাজার আবার চালু হয়ে যায়। যাচাই-বাছাইয়ে কড়াকড়ি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রাকৃতিক ও জৈব সম্পদ নিয়ে একটি বৈশ্বিক সভার আয়োজন করেছিল বেইজিং, যেটি কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি নামে পরিচিত। আন্তঃসরকার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দশ লাখ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে- যা মানব জাতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চীনে বন্যপ্রাণীর ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রতিবেশি দেশগুলোতে এ ধরণে বাজার তৈরি হচ্ছে ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে চীনের অনিয়ন্ত্রিত বন্যপ্রাণীর বাজারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয় চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোয়। ''এই সুযোগটিকে আমরা বন্যপ্রাণী রাখা, প্রজনন বা ব্যবহার বন্ধে একটি স্থায়ী পদক্ষেপ হিসাবে দেখতে চাই, যাতে এগুলো খাবার বা ঔষধ হিসাবে আর ব্যবহার করা না হয়,'' - বলছেন ডেবি ব্যাঙ্কস, লন্ডন ভিত্তিক একটি পরিবেশ তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা, যিনি চীনের বন্যপ্রাণীর ব্যবহার নিয়ে বড় ধরণের অনুসন্ধান চালিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে পাখির অনেক প্রজাতি রক্ষা পেয়েছিল। চীনে হাতির দাঁতের আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা হাতিও রক্ষা পেয়েছে। তবে তারা এটাও গুরুত্ব দিয়ে বলছেন, বন্যপ্রাণীর ব্যবহার বন্ধের পদক্ষেপ সারা বিশ্ব জুড়েই নিতে হবে - শুধুমাত্র চীন নিলেই হবে না। ''কিন্তু যেহেতু চীনে যেহেতু বন্যপ্রাণীর সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে, সে কারণে তারা এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে পারে।''", "doc2": "Sananniyar kasuwa ce da ake sayar da nau'in wadannan kayayyakin da suka hadar da Karkanda, da Kifaye, da Macizai da Jemagu dai sauran su. Kasar China ce mafi shahara wajen sayarwa da kuma amfani da naman namun daji walau ta hanyar da ta dace ko wacce ta sabawa doka. Haramtawar wucin gadi Hukumar lafiya ta duniya WHO tace tayi amannar cewa cutar ta samu asali ne daga Jemagu. Amma ana tunanin cewa ta yadu zuwa ga wasu dabbobin da har yanzu ba'a tantance su ba. Yan kasar China na matukar son naman dabbobin dawa, ana cin naman irin wadannan dabbobin saboda dadin su da kuma dandanon su, amma wasu ana amfani dasu ne saboda yin magungunan gargajiya. Wasu wuraren cin abincin ma na sayar da irin wadannan namomi ga masu so musamman in suka je cin abinci. Akan iya ganin beraye na shawagi a fili a kasuwannin sayar da irin wannan nama a China. Akwai wata inkiya da Sinawa ke fada a tsakanin su da ake cewa 'yewei' bi ma'ana tsagwaron dandanon naman dabbobin dawa, akan yawaita amfani da irin wannan kalma a gidajen ama'a yayin da ake sharbar romo ko kuma farfesun naman dabbobin dawa. Ana kuma amfani da shi a sanannun wuraren sayar da magunguna bisa tunanin cewa idan aka sarrafa shi ya zama magani toh zai iya warakar da mutum cikin hanzari, wato dai '(Sha yanzu magani yanzu). Anya kuwa China zata dauki shawara? Shin barkewar wannan cuta zai taimakawa yunkurin da akeyi na haramta cin naman dabbobin dawa a duniya da kuma kare lafiyar jama'a ?. Masana na da ra'ayin cewa kalubale ne babba, amma ba abu ne da za'a ce bazai iya faruwa ba. Kwayoyin cutar da ke haifar da mummunar cutar na numfashi (SARS) da kuma Tsakiyar Tsakiyar Tsakiyar Yan Sanda (MERS) an kuma yi imanin sun samo asali ne daga jemagu amma sun tsalle cikin mutane ta hanyar kuliyoyin rakakai da raƙuma bi da bi, a cewar jami'an na WHO. \"Mun fara hulda da nau'in dabbobin daji da mazauninsu waɗanda ba mu kasance tare da su ba a baya,\" in ji Dokta Ben Embarek na Sashin Abinci ami gina jiki na hukumar lafiya ta duniya (WHO) ya shaida wa BBC cewa .\"Saboda haka muna da sabbin cututtukan da ke da alaƙa da mutane da kuma nauikan kwayoyin cutukan da a baya basu rikida ba. Binciken da aka yi kwanan nan game da sanannun nau'in halittar dabbobi 32,000 ya nuna cewa kusan kashi 20% daga cikinsu ana cinikin su a kasuwannin duniya, bisa ka'ida ko sabanin haka. Cinikin haramtattun namun daji yakai kusan $ 20bn kuma, ita ce kasuwa ta huɗu mafi girma da ake kasuwancin ta ba bisa ka'ida ba, baya ga safarar kwayoyi ta haramtacciyar hanya da kuma fasakaurin mutane da kuma yaudarar mutane. Akwai bukatar tashi tsaye \"Wannan al'amari na barkewar cututtuka ya kamata ya zama wani kira na tashi tsaye'' in ji wata sanarwar kungiyar (WWF), domin bukatar kawo karshen amfani da dabbobi dake da hadari ga lafiyar jama'a, da kuma tsaftace abinci da magunguna kafin jama'a su yi amfani dasu. Sai dai gwamnatin China ta bayyana karara cewa haramcin zai kasance na wani lokaci. \"Beijing ta ba da sanarwar irin wannan dokar yayin barkewar SARS a 2002. Amma masu rajin kare muhalli sun ce 'yan watanni bayan sanarwar ne kuma kasuwar dabbobin daji ta sake dawowa a China. Fadada binciken diddigi A watan Satumbar wannan shekara, ne Beijing zata gudanar da taron duniya game da albarkatun kasa da na halitta. Dangane da rahoton da ke tsakanin gwamnatocin da aka fitar a bara, jinsunan dabbobi miliyan daya suna cikin hadarin halaka fiye da kowane lokaci cikin tarihin ɗan adam. Sakamakon barkewar kwayar cutar, marubuta a kafofin yada labarai na kasar China sun yi tir da kasuwar dabbobin da ba a sarrafa su a kasar. \"Muna ganin wannan a matsayin wata dama ce ta ci gaba ta fuskar kawo karshen adanawa, kiwo a gida da ma amfani da namun daji, ba wai kawai saboda amfani dasu a matsayin nama ba, harma da maganin gargajiya,\" in ji Debbie Banks, na Hukumar Bincike kan tsaftar muhalli da ke London, wanda ya yi zuzzurfan bincike akan dabbobin daji a China. Masana sun ce barkewar cutar Avian ko murar tsuntsaye ta taimaka da kiyaye wasu nau'in tsuntsayen da ke cikin daji. Sun kuma nuna nasarar da China ta samu na haramta shigo da hauren giwa bayan shekara da shekaru na matsin lamba daga kasashen duniya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48170023", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-57148258", "doc1": "ইসরায়েলী হামলায় বিধ্স্ত বাড়িঘর। ইসরায়েল বলছে, তাদেরকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের শত শত রকেট ছোঁড়ার প্রেক্ষিতেই তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। মি. নেতানিয়াহু আরো বলেছেন যে তিনি গাজার চারপাশে ট্যাঙ্কসহ গোলন্দাজ বাহিনী মোতায়েনেরও আদেশ দিয়েছেন। গাজায় কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবারের পর থেকে ইসরায়েলী হামলায় আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের হামলায় তিনজন ইসরায়েলী নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে নিহতদের একজন হামাসের কমান্ডার হামেদ আহমেদ আবেদ খুদরি। ইসরায়েল দাবি করছে, জঙ্গিদের জন্যে ইরান থেকে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন তিনি এবং তাকে পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম এতো বড়ো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। বলা হচ্ছে, গত দুদিনে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে সাড়ে চারশো রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর ইসরায়েল গাজায় দুশোরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলী বাড়িঘর। আরো পড়তে পারেন: ঘূর্ণিঝড় ফণী: পূর্বাভাস প্রদানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ভূমিকা ছিল কি? ছুরি, তলোয়ার থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ শ্রীলঙ্কায় 'জয় শ্রীরাম' শুনে গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর গত মাসেই মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্তভঙ্গের অভিযোগ করেছে। শনিবার সারা রাত ধরে গাজা এলাকায় ঘন ঘন বিস্ফোরণ, সাইরেন এবং রকেট নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলা এবং তার শিশু সন্তান রয়েছে। তবে ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাদের ভাষায় 'সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণেই' মহিলা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । তারা বলছে, গাজা থেকে অন্তত ৪৩০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে, আর এর আঘাতে আশকেলন শহরে একজন ইসরায়েলি বৃদ্ধ নিহত হয়। রাতভর ইসরায়েলী বিমান বাহিনী গাজায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সাথে সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালায়। বলা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে এটি সাম্প্রতিক কালের সবচাইতে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা। ফিলিস্তিনিরা গাজার সীমান্তে ইসরায়েলি অবরোধের অবসান দাবি করছিল - যার শর্ত হিসেবে ইসরায়েল রকেট নিক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলছিল। এই সংঘাতের মধ্যেই একটা যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে উত্তেজনা হ্রাস এবং গত কয়েক মাস আগেকার সমঝোতা বলবৎ রাখার আহবান জানিয়েছে।", "doc2": "Hukomomin lafiya a Gaza sun ce mutum 200 ne suka mutu, ciki har da mata 16 da ƙananan yara 10, a hare-haren Isra'ila na baya-bayan nan ta sama. Kazalika, an kashe mutum 10 ciki har da ƙananan yara biyu a hare-haren roka kan Isra'ilar waɗanda ƙungiyar Hamas ke kai wa tun ranar Litinin, 10 ga watan Mayu. Ƙasashe da ƙungiyoyi daga sassan duniya na ta kiran da a tsagaita wuta. 'Babu wata barazana da za ta dakatar da Isra'ila daga kai hari' A hare-hare mafiya muni da ta kai da asubahin Litinin, Isra'ila ta ce ta hari maɓoyar ƙarƙashin ƙasa mallakar ƙungiyar Hamas, amma an lalata tituna da wutar lantarki. Wani mazaunin Daular Larabawa wato UAE kuma mai sharhi kan al'amuran Gabas ta Tsakiya, Muhammad Kaddam Siddiq Isa ya faɗa wa BBC cewa babu wata barazana da za ta sa Isra'ila ta dakatar da hare-hare a kan Falasɗinawa. \"Idan ana tunanin akwai wanin abu ko barazana da ƙasashen duniya za su yi wa Isra'ila ta daina kai hare-hare, amsa ita ce babu,\" in ji shi. \"Kawo ƙarshen wannan ya danganta da abin da su hukumomin Israi'la suka yanke cewa ya kamata su dakata, saboda babu wanda yake juya ta a halin yanzu.\" Muhammad Ƙaddam ya ce yunƙurin da wasu hukumomi ke yi na shiga tsakani ba kowanne ne ke da tasiri ba. \"Yunƙurin da Majalisar Ɗinkin Duniya ke yi na sasantawa ba wani tasiri zai yi ba sosai, gara ma wanda ƙasar Masar take yi,\" a cewarsa. \"Wakilan Masar na Gaza yanzu haka kuma suna ƙoƙarin tattaunawa da ɓangarorin domin su tausa zuciyar shugabannin Hamas game da tsagaita wuta.\" 'Hamas na ɗaukar alhakin Falasɗinawa' Mai sharhin yana ganin cewa wasu daga cikin abubuwan da ke faruwa bai kamata su faru ba idan shugabannin ƙungiyar Hamas suka ga dama, yana mai cewa ayyukansu ne ke jawo wa ana kashe fararen hula Falasɗinawa. \"Da ma Isra'ila ƙaramin dalili ta ke nema domin ta fara luguden wuta a kan Gaza,\" in ji masanin. \"Saboda haka, shugabannin ƙungiyar Hamas na ɗukar wani ɓangare mai girma na alhakin mutane da ake kashewa waɗanda ba su ji ba su gani ba, alhali su shugabannin suna wasu wurare a boye, wasu ma ba sa cikin ƙasar.\" Tsagaita wuta zai yiwu kuwa? - Sharhin Paul Adams Shin yaƙin da Isra'ila take wanda ake yi wa laƙabi da \"Guardian of the Walls\" ya kusa zuwa ƙarshe? Amsar a bayyane take cewa a'a. Firaminista Benjamin Netanyahu ya ce hare-haren za su ci gaba \"ba ƙaƙƙautawa\" kuma \"za su ɗauki lokaci.\" Yayin wani taron manema labarai ranar Lahadi, ya yarda cewa ana matsa musu amma ya gode wa Shugaban Amurka Joe Biden musamman saboda goyon bayan da yake bai wa ƙasarsa. Wakilin Mista Biden, Hady Amr, yana Isra'ila tun ranar Juma'a, inda yake tattaunawa da shugabannin ƙasar kan rikicin. Tun da dama Amurka da wasu ƙasashe suna kallon Hamas a matsayin ƙungiyar ta'addanci, Mista Amr ba zai gana da shugabannin Hamas ba. Duk wani saƙo da yake son bai wa Hamas sai dai ya aika shi ta hannun masu shiga tsakani - kamar Qatar da Masar. Wasu rahotannin cikin gida na cewa Hamas ta fara neman a tsagaita a baya-bayan nan, wanda ita kuma Isra'ila ta ke yin watsi saboda tana son ta lahanta Hamas sosai kafin a kawo ƙarshen yaƙin. Da ma wannan ba sabon abu ba ne: Isra'ila za ta yi ta amfani da ƙarfin soja har sai an yi kururuwa game da fararen hular da take kashewa da kuma rincaɓewar yanayi a birnin Gaza, abin da zai sa a ce to faɗan ya isa haka. A wajen Isra'ila, wannan lokacin bai yi ba tukunna."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47942996", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/47942896", "doc1": "নটরডাম ক্যাথেড্রালে আগুন লাগার পর গির্জাটি দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতক ধরে নির্মাণ করা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর মূল কাঠামো এবং দুটো বেল টাওয়ার রক্ষা করা গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। প্রাচীন গোথিক ভবনটিকে রক্ষার জন্য দমকল কর্মীরা ব্যাপক চেষ্টা চালালেও এর উঁচু মিনার এবং ছাদ ধ্বসে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো পরিষ্কার নয়, তবে কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান সংস্কার কাজের সাথে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে। ক্ষয়িষ্ণু ভবনটি রক্ষার জন্য গতবছর ফ্রান্সের ক্যাথলিক চার্চ তহবিলের আহ্বান করেছিল। যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় সময় সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন লাগে এবং দ্রুত তা ছাদে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাথিড্রালের ছাদে যখন আগুন জ্বলতে থাকে এবং ভবনের জানালা ধ্বংস করে দেয় তখন প্রকাণ্ড জোরে শব্দ শোনা যায়। উচু মিনার খসে পড়ার আগে তা কাঠের তৈরি কাঠামো ধংস করে । একটি বেল টাওয়ার ধ্বসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৫০০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করে। চার ঘণ্টা পরে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর প্রধান জ্যঁ-ক্লদে গ্যালেট বলেন, প্রধান কাঠামোটি পুরোপুরি ধ্বংসের কবল থেকে 'রক্ষা করা গেছে এবং সংরক্ষিত' আছে। ক্যাথেড্রালের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ এবং এর উত্তরাংশে টাওয়ার রক্ষার জন্য রাতভর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়। ক্যাথেড্রালের আশেপাশের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন, আগুনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করবার জন্য। অনেককে প্রকাশ্যে কাঁদতে দেখা যায়, একই সময়ে অন্যরা দুঃখ করছিলেন, কেউবা প্রার্থনা করছিলেন। রাজধানীর অনেক গির্জায় বেল বাজাতে শোনা যায়। প্যারিসের মেয়র একে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকল ক্যাথলিক এবং ফরাসি নাগরিকের জন্য তার সমবেদনার কথা জানান। তিনি বলেন, \"আমাদের এই অংশটি পুড়তে দেখে আমার দেশের আর সবার মত আমিও আজকের রাতে অত্যন্ত ব্যথিত\"। মিস্টার ম্যাক্রো বলেন, \"আমরা একত্রে পুনরায় তৈরি করবো নটরডাম\"। তিনি ফায়ার ফাইটারদের চুড়ান্ত সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। মিস্টার ম্যাক্রো এর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন বক্তৃতা দেয়ার কথা থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের কারণে তা বাতিল করেছেন বলে এলিজি প্রাসাদ কর্মকর্তারা জানান। ইতিহাসবিদ কামিলি পাস্কাল ফরাসি গণমাধ্যম বিএফএমটিভিকে বলেন, আগুন ধ্বংস করে দিচ্ছে \"অমূল্য ঐতিহ্য\"। ৮০০বছর ধরে এই ক্যাথেড্রাল প্যারিসে দাঁড়িয়ে ছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খুশির এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় নটরডামের ঘণ্টাধ্বনি তাকে স্মরনীয় করে রেখেছে। প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিদালগো সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা যে সীমানা বেষ্টনী তৈরি করে দিয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা যেন তা মান্য করে। \"ভেতরে প্রচুর সংখ্যক শিল্পকর্ম রয়েছে...এটা একটা সত্যিকারের ট্রাজেডি\", তিনি সাংবাদিকদের বলেন। একটি দেশের প্রতীক বিবিসি ওয়ার্ল্ড অনলাইনের হেনরি আস্টয়ের-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, নটরডামের মত অন্য কোন নিদর্শন বা জায়গা ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা। জাতীয় প্রতীক হিসেবে এর কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বী আইফেল টাওয়ার। ১২০০ শতক থেকে প্যারিসে দাড়িয়ে ছিল নটরডাম। । ভিক্টর হুগোর 'দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটরডাম' ফরাসিদের কাছে নটরডাম ডি প্যারিস হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছিল। এই ক্যাথেড্রালটি সর্বশেষ বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের সময় । বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আওয়ামী লীগ: অন্য দল থেকে আসা কর্মিদের তালিকা হচ্ছে চাঁদ দেখা: বিজ্ঞানকে কেন কাজে লাগাচ্ছে না মুসলিমরা ডাক্তাররা যে শিক্ষা পেলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন বন্ধ হওয়ার মুখে ভারতের জেট এয়ারওয়েজ? নটরডাম ক্যাথেড্রাল নটরডাম সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য •প্রতিবছর নটরডাম ক্যাথেড্রাল দেখতে এক কোটি ৩০ লাখ দর্শনার্থী ( ১৩ মিলিয়ন) আসেন। •এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটিজে সাইট যা ১২ এবং ১৩ শতক জুড়ে নির্মিত হয়েছিল এবং বর্তমানে এর বড় ধরনের সংস্কারকাজ চলছিল • সংস্কার কাজের জন্য ঢোকার মুখের বেশ কয়েকটি প্রতিমা সরানো হয়েছিলো। • ভবনের ছাদের বেশিরভাগই ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি, যা আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে দুই বিশ্বযুদ্ধের ধকল থেকে এটি টিকে গিয়েছিল। এই ক্যাথেড্রালে প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী ভিড় করেন। একটি জাতির অটলতার প্রতিমূর্তির এভাবে পুড়তে এবং মিনার চোখের সামনে গুড়িয়ে যেতে দেখা যেকোনো ফরাসি নাগরিকের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। প্রত্যক্ষদর্শী সামান্থা সিলভা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, \"আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব দেশের বাইরে থাকে এবং যখনই তারা আসে প্রতিবার আমি তাদের বলি নটরডাম বেরিয়ে এসো\"। ''অনেকবার আমি সেখানে গেছি, কিন্তু কখনোই একরকম মনে হয়নি। এটা প্যারিসের সত্যিকারের প্রতীক\"। বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া প্রাচীন এই স্থাপনায় আগুনের ঘটনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন যে, \"সম্ভবত উড়ন্ত জল-কামান\" এই আগুন নেভাতে কার্যকর হতে পারে। জার্মান চ্যাঞ্চেলর এঙ্গেলা মের্কেল ফ্রান্সের জনগণের প্রতি তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এবং নটরডামকে \"ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রতীক\" বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক টুইটে লিখেছেন, \" ফ্রান্সের জনগণের সাথে এবং জরুরি পরিষেবাগুলির সাথে যারা নটরডাম ক্যাথেড্রালে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আজ রাতে তাদের প্রতি আমার সমবেদনা\"। ভ্যাটিক্যান থেকে বলা হচ্ছে, এই অগ্নিকাণ্ডের খবর তাদের শোকাহত এবং ব্যথিত করেছে এবং তারা ফরাসি ফায়ার সার্ভিসের জন্য প্রার্থনা করছে। একটি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র নটরডাম ক্যাথেড্রালের পাথরে ফাটল দেখা দেয়ার পর ভবনের সংস্কার কাজ চলছিল। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস তদন্ত শুরু করেছে।", "doc2": "A shekarar bara Cocin Katolika ta nemi tallafin kudi don gyara ginin mai shekara 850 a duniya Zuwa yanzu dai ba a san musabbabin gobarar ba da ta mamaye ginin majami'ar mai shekara 850. Amma hukumomi sun ce ba zai rasa nasaba da aikin kwaskwarima da ake yi wa ginin ba. Ana ci gaba da ayyukan shawo kan wutar, inda rufin majami'ar da kuma hasumiyarta suka kone kurmus. Mutane kenan ke kallon ginin na ci da wuta a gabar kogin Seine da ke tsakiyar birnin Paris A shekarar bara Cocin Katolika ta nemi tallafin kudi don gyara ginin, wanda ya fara tsattsagewa. Wani mai magana da yawun hukumar kashe gobara a Paris ya ce nan da sa'a daya da rabi mai zuwa za a iya tabbatar da ko za a iya kawo karshen wutar ko kuma a'a. Shugaban kasar ta Faransa Emmanuel Macron da tuni ya je wajen ya ce hankalinsa na kan \"'yan darikar Katolika da kuma al'ummar Faransa.\" \"Kamar sauran 'yan kasa, ban ji dadin ganin wani bangare namu yana konewa ba.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52866302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/52866076", "doc1": "মিনেয়াপোলিসের মেয়র বলছেন যে, সহিংসতা এখনই থামানো দরকার। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে দাঙ্গা পুলিশ। কয়েকটি শহরে পুলিশের যানে আগুন দেয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষায় \"লুটেরা এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের\" দোষারোপ করেছেন। গত সোমবার মিনেয়াপোলিসে পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মারা যান ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক মি ফ্লয়েড। ৪৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চউভিনকে তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সোমবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, বেশ কয়েক মিনিট ধরে মি. ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছেন মি চউভিন। সেসময় মি ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। ওই সময়ে উপস্থিত থাকা আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। বিক্ষোভের সবশেষ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০ শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিকাগোতে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। শনিবার বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়। লস এঞ্জেলেসে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার পর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। ছবিতে দেখা যায় যে, পুলিশের গাড়ির উপর দাড়িয়ে রয়েছে বিক্ষোভকারীরা। লসএঞ্জেলেসের রাস্তায় পুড়িয়ে ফেলা গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করে মানুষ। দ্বিতীয় দিনের মতো ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে অবস্থান নিয়েছে অনেক বিক্ষোভকারী। জর্জিয়া, আটলান্টায় শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ভাংচুর চালানোর পর জান-মালের নিরাপত্তায় সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মিনেয়াপোলিস, নিউইয়র্ক, মায়ামি, আটলান্টা এবং ফিলাডেলফিয়ায় বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। জর্জিয়া, আটলান্টায় একটি পুলিশ লাইনের কাছে বিক্ষোভের সময় আতশবাজির বিস্ফোরণ ঘটে। অন্যান্য শহরের সাথে মিনেয়াপোলিস, আটলান্টা, লস এঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, পোর্টল্যান্ড এবং লুইসভিলে রাতভর কারফিউ জারি করা হয়েছে। যাইহোক, অনেক শহরে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙ্গে ব্যাপক হারে লুটপাট চালিয়েছে। শুক্রবার মিনেসোটায় ন্যাশনাল গার্ডের কয়েকশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষিত সামরিক বাহিনী যাদেরকে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট কিংবা রাজ্যের গর্ভনর ডাকতে পারে। ট্রাম্প কী বলেছেন? শনিবার সন্ধ্যায় মি. ট্রাম্প বলেছেন যে মি ফ্লয়েডের মৃত্যু \"আমেরিকাবাসীকে ভয়, ক্রোধ এবং শোকে নিমজ্জিত করেছে।\" \"শান্তিপ্রিয় প্রতিটি আমেরিকানের সামনে বন্ধু হিসেবে দাঁড়াবো আমি,\" ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে টেলিভিশনে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। বিলিয়নিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের নির্মিত মহাকাশযানে করে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠানোর কর্মসূচীতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের পানি এবং খাবার বিতরণ করে মিনেসোটার বাসিন্দারা। প্রেসিডেন্ট \"লুটেরা এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের\" কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন যে তাদের এ ধরণের কাজ মি. ফ্লয়েডের স্মৃতিকে অসম্মান করবে। তিনি বলেন, যা প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে, \"ঘৃণা নয় বরং আরোগ্য লাভ করা, বিশৃঙ্খলা নয় বরং ন্যায়বিচার।\" \"আমি ক্ষুব্ধ জনগণের কর্মকাণ্ড সহ্য করবো না- এটা চলবে না,\" তিনি বলেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য মিনেয়াপোলিসের মেয়র, যিনি একজন ডেমোক্রেট, তাকে দোষারোপ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর এটা সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তিনি বলেন, বিক্ষোভ যদি নিয়ন্ত্রণে নেয়া না হয় তাহলে ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা সেটি নিয়ন্ত্রণে নেবে। তার বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোঁড়ামির পালে হাওয়া দিচ্ছেন এবং মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। জর্জ ফ্লয়েডের সাথে কী হয়েছিল? সোমবার রাতে পুলিশ একটি মুদি দোকান থেকে ফোন পায় যেখান থেকে অভিযোগ জানানো হয় যে, মি ফ্লয়েড একটি নকল ২০ ডলারের নোট দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করার সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং বলেন যে তিনি ক্লসট্রোফোবিক বা আবদ্ধতায় তার ভয় কাজ করে। পুলিশের মতে, তিনি কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে বাধা দিয়েছিলেন এবং তাকে হাতকড়া পরানো হয়। তবে ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়নি যে বাধা দেয়াটা কিভাবে শুরু হয়েছিল। মি. চউভিনের হাত যখন তার গলায় ছিল, মি. ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে, \"দয়া করুন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না\" এবং \"আমাকে মারবেন না\"। পুলিশকে বার বারই মি. ফ্লয়েড জানান যে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। স্থানীয় চিকিৎসাকর্মী প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তের পর জানিয়েছেন যে, মি. ফ্লয়েডের গলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাঁটু আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে ছিল, অর্থাৎ মি. ফ্লয়েড সাড়াহীন হয়ে যাওয়ার পরও আরো তিন মিনিট বেশি সময় ধরে এটা চলে। মি. চউভিন তার হাঁটু সরিয়ে নেয়ার দুই মিনিট আগে আরেক কর্মকর্তা মি. ফ্লয়েডের ডান হাতের কব্জিতে স্পন্দন খোঁজার চেষ্টা করেও পাননি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ঘণ্টা খানেক পরে সে মারা গেছে বলে জানানো হয়। প্রাথমিক ময়না তদন্তে মি. চউভিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসহ \"আঘাতজনিত শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসরোধের\" কোন প্রমাণ মেলেনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মি. ফ্লয়েডের হৃদরোগজনিত সমস্যা ছিল এবং এই দুইয়ের সমন্বয়ে তার দেহে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপের কারণে \"তার মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হয়েছে।\" মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মি. চউভিনের বিরুদ্ধে থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার এবং সেকেন্ড ডিগ্রি বেআইনি ও অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মি. ফ্লয়েডে পরিবার এবং তার আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প এই \"অভিযোগ আনাকে স্বাগত\" জানিয়েছেন কিন্তু উল্লেখ করছেন যে, \"একটু দেরি হয়ে গেছে।\" পরিবার বলছে যে তারা ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনতে চান এবং সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িত তিন পুলিশ কর্মকর্তারই গ্রেফতার দাবি করেন।", "doc2": "Masu zanga-zanga kan wata motar 'yan sanda da suka kona Zanga-zangar da ake yi, tsakanin 'yan sanda da masu tayar da kayar baya ya sa 'yan sanda suka yi amfani da hayaki mai sa hawaye da harsasai bayan an rika kai musu hare-hare a birane da dama. Shugaba Trump ya zargi 'yan wawa da masu ra'ayin zaman kara-zube da masu matsanancin tsattsauran ra'ayi da wannan hargitsi, mafi muni tun bayan hawansa karagar mulki. Mista Floyd ya rika maimaita wa 'yan sanda cewa ba ya iya numfashi, amma ba su kyale shi ba. An kashe Mista Floyd, wani Ba'amurke mai shekara 46, a lokacin da yake hannun 'yan sanda a Minneapolis ranar Litinin. Kuma an tuhumi dan sanda Derek Chauvin, mai shekara 44, da laifin kisan, kuma ana saran zai gurfana gaban kotu ranar Litinin. A cikin hotunan bidiyo da ake yadawa ta yanar gizo, ana iya ganin Mista Chauvin ya durƙusa da gwuiwoyinsa kan wuyan Mista Floyd har na wasu mintoci, duk da Mista Floyd ya rika maimaita cewa ba ya iya numfashi. Yadda ake gumurzu tsakanin 'ya sanda da masu zanga-zanga a birnin Atlanta na jihar Georgia Menene sabo game da zanga-zangar? Manyan zanga-zangar sun bazu zuwa a kalla birane 30 a fadin Amurka. A birnin Chicago, masu zanga-zangar sun rika jifar jami'an tsaro, wadanda suka mayar da martani ta hanyar harba hayaki mai sa hawaye. An kama mutane da yawa a ranar Asabar. 'Yan sanda a Los Angeles sun harba harsasai na roba a yayin da suke kokarin tarwatsa taron da masu zanga-zangar suka rika jefa kwalabe kan motocin 'yan sandan. Daga baya hotunan bidiyo sun nuna masu zanga-zangan tsaye kan motocin 'yan sandan da suka lalata."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48730212", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/48730984", "doc1": "ইরানী টিভিতে দেখানো ধ্বংসপ্রাপ্ত আমেরিকান ড্রোনের কিছু টুকরো এনবিসিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে চায়, কিন্তু ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। এ সপ্তাহে ইরান একটি মানববিহীন আমেরিকান ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে, এবং তার জবাবে ইরানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিয়েও পরে তা স্থগিত করেন মি ট্রাম্প। তার সেই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প বলেন, ইরানে আঘাত হানার সব প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন, তখন তিনি জেনারেলদের জিজ্ঞেস করেন যে এ আক্রমণে কত লোক মারা যেতে পারে? জেনারেলরা তাকে জবাব দেন, ১৫০ জন ইরানি মারা যাবে। তখন মি ট্রাম্প শেষ মুহুর্তে আক্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন, কারণ তার ভাষায় \"এটা আমার ভালো লাগেনি, কারণ চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য পাল্টা আক্রমণে ১৫০ জন ইরানি মারা যাবে এটা আমার কাছে অসঙ্গত মনে হয়েছে।\" আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন আমেরিকান ড্রোন তার পর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানি স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়ে তা প্রত্যাহারও করে নিলেও উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি। বরং দুটো দেশের পক্ষ থেকে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন ড্রোনকে ধ্বংস করায় দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কোন ধরনের আগ্রাসী সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, ইরান সেটা প্রতিরোধ করবে। অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ যদি লেগেই যায়, ইরানকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, \"আপনাদের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেয়া হবে না। যদি এ নিয়ে আলোচনায় বসতে চান, ভালো কথা। না হলে ভেঙে পড়া অর্থনীতির মধ্যেই বহু কাল কাটাতে হবে।\" মানচিত্রে উপসাগর এলাকা বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যালান জনস্টন বলছেন, মি. ট্রাম্প ভালো করেই জানেন যে ইরানের উপর সামরিক হামলার একটা বড় রকমের ঝুঁকি আছে। এই যুদ্ধ তখন ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে খুব দ্রুতই গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরকম উত্তেজনার মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইরানের আকাশসীমার ভেতর দিয়ে তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতিহাদ এয়ারলাইন্স পরিহার করছে হরমুজ প্রণালী ও ওমান উপসাগরের উপর দিয়ে যাওয়া আসা। কিন্তু ইরানের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের আকাশসীমা নিরাপদ। উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্কতা এন্ড্রু মারিসন আগামীকাল রবিবার তেহরান সফরে যাচ্ছেন। ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী গুলি করে মার্কিন ড্রোন ফেলে দিল ইরান আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?", "doc2": "Shugaba Donald Trump ya nemi zama da Iran Da yake magana da gidan talbijin na NBC a ranar Juma'a, Mista Trump ya kara da cewa a shirye Amurka take domin tattaunawa da kasar Iran. Sai dai ya nanata cewa babu yadda za a yi Amurkar ta bari kasar Iran ta samar da makaman nukiliya. Donald Trump ya sake yin karin haske kan sauya tunanin da ya yi na fasa kai wa Iran din hari domin mayar da martani kan harbo jirgin Amurka maras matuki da Iran din ta yi a makon nan, inda ya ce an sanar da shi cewa mutum 150 ka iya mutuwa sakamakon harin. \"Ban so a yi hakan ba. Ba na zaton hakan ya dace,\" In ji mista Trump. Kasar Iran dai ta ce jirgin maras matuki ya kutsa sararin samaniyarta ne da safiyar ranar Alhamis. Sai dai Amurkar ta musanta hakan, inda ta ce an harbo jirgin nata a sararin samaniyar kasa da kasa. Tarkacen jirgin da Iran ta harbo ya zama abin tunkaho ga Iran din Ana ci gaba da samun rashin jituwa tsakanin Amurka da Iran, inda Amurkar ta zargi Iran din da kai wa wasu jiragen ruwa masu dauke da danyen mai hari, a yankin gabas ta tsakiya. Kasar Iran ta sanar da cewa, nan ba da jimawa ba za ta ci gaba da makamin nukiliya fiye da abin da dokokin kasa da kasa suka iyakance mata. A bara ne dai Amurka, bisa radin kanta ta fice daga yarjejeniyar dakatar da Iran daga mallakar makamin nukiliya da kasashen duniya suka rattaba wa hannu. Yanzu haka Amurka ta nemi Kwamitin Sulhu na Majalisar Dinkin Duniya ya zauna ranar Litinin domin tattaunawa kan Iran."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46010297", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46007010", "doc1": "কু ক্লাক্স ক্লান: প্রকাশ্যেই সভা সমাবেশ করতে পারে এরা। রবার্ট বোওয়ার্স নামের যে লোক এই হামলা চালায়, তাকে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী আদর্শে বিশ্বাসী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। হামলার আগে সে এই বলে চিৎকার করছিল যে সব ইহুদীকে মরতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইহুদীদের ওপর এটি এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নামকরা রাজনীতিক এবং আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে 'পত্র বোমা' পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরেক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীকে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে বলে মনে করছে মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো। এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা কারা? তারা আসলে কী চায়? অল্ট রাইটের এক কর্মীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা। অল্টারনেটিভ রাইট (অল্ট রাইট) অল্টারনেটিভ রাইট বা অল্ট রাইট আন্দোলন শুরু হয় মূলত রাজনৈতিক শুদ্ধাচার বা পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের বিরুদ্ধে আন্দোলন হিসেবে। পলিটিক্যাল কারেক্টনেসকে এরা সহ্যই করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এরা খুবই পছন্দ করে। সমালোচকদের ধারণা, এই গোষ্ঠীটির মূল আদর্শ আসলে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, ইসলাম বিদ্বেষ, ইহুদী বিদ্বেষের মতো অভিযোগ উঠে, তখন তার পক্ষে এগিয়ে এসেছিল এই অল্ট রাইট আন্দোলন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে এই আন্দোলনের নিন্দা করে বলেছিলেন, তিনি এদের সঙ্গে একমত নন। অন্যান্য খবর: পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে? বিপিএল ২০১৯- এর নিলাম: কে কোন দলে পরিবহন ধর্মঘটে রাস্তায় অটোরিকশাও চলতে পারছে না মূলত শ্বেতাঙ্গ পরিচয় এবং 'পশ্চিমা সভ্যতা'কে রক্ষার কথা বলে অল্ট রাইট। তবে এর বিরোধীরা মনে করেন, অল্ট রাইট আসলে একটি বর্ণবাদী, পুরুষতান্ত্রিক এবং ইহুদী বিদ্বেষী আন্দোলন। সাদা ইউনিফর্ম পরা কু ক্লাক্স ক্লানের সদস্যরা। কৃষ্ণাঙ্গদের পুড়িয়ে মারতো এরা। কু ক্লাক্স ক্লান যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী গোষ্ঠী। সংক্ষেপে কেকেকে নামে পরিচিত। ১৮৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সাবেক কনফেডারেট অফিসাররা এই গোষ্ঠী গঠন করে। পরের দশকগুলোতে অবশ্য এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যেই। কেকেকে এখন নানাভাবে বিভক্ত। কিন্তু তারা কৃষ্ণাঙ্গ, ইহুদী, অভিবাসী থেকে শুরু করে সমকামী- সবার বিরুদ্ধেই বৈষম্যে বিশ্বাসী। কু ক্লাক্স ক্লানের সদস্যরা সাদা কস্টিউম পরে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তারা অশ্বেতাঙ্গদের হত্যা করে। নাৎসী স্যালুট দিচ্ছে একটি নাৎসাবাদী গোষ্ঠীর একজন সদস্য। নব্য নাৎসীবাদী গোষ্ঠী এই গোষ্ঠীর সদস্যরাও মূলত ইহুদী বিদ্বেষী। নাৎসী জার্মানী এবং এডলফ হিটলারের আদর্শকে তারা পছন্দ করে। ইউরোপের বহু দেশে যদিও এ ধরনের সংগঠন এবং আদর্শ নিষিদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে তা নয়। মার্কিন সংবিধানের ফার্স্ট অ্যামেন্টডমেন্ট সেখানে এরকম চরম মতাদর্শ প্রচারকেও সুরক্ষা দেয়। ইলিনয় রাজ্যের একটি ইহুদী অধ্যূষিত শহরের ভেতর দিয়ে একবার একটি নাৎসীবাদী গোষ্ঠী মিছিল করতে গেলে সেটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তখন মিছিল করার অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল মার্কিন সংবিধানের ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টের কথা উল্লেখ করে।", "doc2": "Dan bindigar ya bude wuta ne a wajen bautar mai suna Tree of life na yahudawa inda daga baya kuma jami'an tsaro suka kama shi. Shugaba Trump ya ce an kashe mutane da dama yayin da aka raunata wasu kuma a wani hari na keta. Mutumnin da ake zargin wanda a hukumance aka bayyana shi da Robert Bowers mai kimanin shekara 46, ya ji rauni inda kuma ake masa magani a yanzu haka. 'Yan sanda sun ce mutane biyu na kwance a asibiti a halin rai kwakwai mutu kwakwai sakamakon harin da aka kai. Masu bincike na hukumar FBI na kallon hari a matsayin laifi na nuna kiyayya. Masu bautar sun taru ne a wajen bautar ta su a unguwar Squirrel Hill domin zagayowar ranar ibadarsu. Unguwar Squirrel Hill na daya daga cikin wuraren da ke da yawan Yahudawa a jihar Pensylvania. Kamar yadda rahotanni suka ambato, Mr Bowers wanda farar fata ne ya shiga wurin ibadar a ranar asabar dauke da bindigogi uku. Rahotanni sun ce ya rufe kansa a wani daki da ke wajen bautar bayan da 'yan sanda suka isa wurin. Ma'aikatan agaji dai sun isa wajen da karfe 10 na safiyar ranar kuma har wannan lokacin ana jin karar harbe harbe. Wurin da aka yi abin dai ba bu kyan gani inji wani shugaban jami'an tsaro a jihar. Jami'in ya ce an raunata wasu jami'an tsaro biyu a farkon da aka tunkari mutumin da ake zargin, sannan daga bisani wasu 'yan sandan kundun bala biyu sun ji rauni bayan da dan bindigar ya harbe su a lokacin da suka kutsa cikin ginin, sai dai kuma ba bu yara a cikin wadanda abin ya shafa. Karanta wasu karin labaran"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54163329", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-54159031", "doc1": "ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ১ সেপ্টেম্বর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। সেখানে বাহরাইনের তরফ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে এরকমটাই জানিয়েছেন। এই শান্তি চুক্তি যে পাঁচটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন: ১. উপসাগরীয় দেশগুলো দেখছে বাণিজ্য এবং আরও অনেক কিছুর সম্ভাবনা উচ্চাকাঙ্ক্ষী আমিরাতিদের সাহায্য করবে এই চুক্তি। সংযুক্ত আরব আমিরাত উপসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের এক সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের দেশ হয়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনের এক বড় কেন্দ্র। মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই শান্তি চুক্তির ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রাজি করিয়েছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। অতীতে এরকম সমরাস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগালের বাইরে ছিল, তারা কেবল এমন সমরাস্ত্র কেনার স্বপ্নই দেখতে পারতো। এরকম সমরাস্ত্রের মধ্যে আছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং ইএ-১৮জি গ্রোলার ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বিমান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক বাহিনী এমনিতে যথেষ্ট সুসজ্জিত। এই বাহিনীকে তারা যুদ্ধে পাঠিয়েছে লিবিয়া এবং ইয়েমেনে। কিন্তু তাদের সবচেয়ে সম্ভাব্য বড় শত্রু কিন্তু ইরান। উপসাগরের ঠিক উল্টো দিকে যে দেশটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইরানকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যেরকম সন্দেহের চোখে দেখে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাই। বাহরাইনও সন্দেহ করে ইরানকে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ইরান দাবি করতো বাহরাইন তাদের দেশেরই অংশ। বাহরাইনের শাসকরা সুন্নি। কিন্তু দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শিয়া। কাজেই সুন্নি শাসকরা এই শিয়াদের ইরানের সম্ভাব্য 'ফিফথ কলাম' বা 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' বলে ভাবেন। এই দুটি উপসাগরীয় দেশ অবশ্য ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে রাখঢাক কমই করে। এখন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে খোলাখুলি বাণিজ্য করার আশায় তাকিয়ে আছে। ইসরায়েল হচ্ছে প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর দেশগুলোর একটি। কোভিড মহামারি যখন ছিল না, তখন ইসরায়েলিরা কিন্তু ছুটি কাটাতে প্রচুর বেড়াতো। কাজেই উপসাগরীয় দেশগুলোর মরুভূমি, সৈকত আর শপিং মলে যেতে তারা উদগ্রীব থাকবে। কাজেই দুতরফের জন্যই হয়তো এটি এক ভালো ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ। ২. মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের নিঃসঙ্গতা কমবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারটা ইসরায়েলের জন্য সত্যিকার অর্থেই এক বিরাট অর্জন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাদের ইহুদী রাষ্ট্র এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে 'আয়রন ওয়াল' বা 'লৌহ প্রাচীরের' কৌশলে বিশ্বাসী। ১৯২০ এর দশকে এই কৌশলের কথা প্রথম বলা হয়। এই কৌশলের মূল কথা হচ্ছে, ইসরায়েলকে এতটাই শক্তিশালী হতে হবে যাতে করে শেষ পর্যন্ত আরবরা বুঝতে পারবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। কিন্তু ইসরায়েল আবার মধ্যপ্রাচ্যে একদম একঘরে হয়ে থাকতে চায় না। মিশর আর জর্ডানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হয়েছে সত্যি, কিন্তু সম্পর্ক কখনোই উষ্ণ ছিল না। তবে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বেলায় ইসরায়েল হয়তো একটু বেশি আশাবাদী হতে পারে। কারণ জেরুসালেম আর অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে এই দেশগুলো অনেক দূরে। আর ইরানের বিরুদ্ধে জোট আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারটা তো আছেই। মিস্টার নেতানিয়াহু মনে করেন ইরান হচ্ছে তার দেশের এক নম্বর শত্রু। মাঝে মধ্যে তিনি ইরানের নেতাদের তুলনা করেন নাৎসীদের সঙ্গে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে তার যে আপত্তি ছিল, তিনি আপাতত সেটা চেপে গেছেন। তবে মিস্টার নেতানিয়াহু স্বদেশের রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, এই অভিযোগে তার বিচার হতে পারে। তিনি জেলে যেতে পারেন। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় তিনি শুরুটা ভালোই করেছিলেন, কিন্তু এরপর ব্যাপারটা একেবারেই তালগোল পাকিয়ে গেল। বিরোধী দলগুলো এখন প্রতি সপ্তাহেই জেরুসালেমে তার বাসভবনের বাইরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। কাজেই এরকম এক দুঃসময়ে হোয়াইট হাউজে এমন এক শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠান তার জন্য যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। ৩. ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির জন্য এক বিরাট সাফল্য এই চুক্তি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। মিস্টার ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশলে বিশ্বাসী। এই শান্তি চুক্তি তার সেই কৌশলের পক্ষে সমর্থন আরও জোরালো করবে। আর নির্বাচনের বছরে এটি তার জন্য একটি দারুণ অস্ত্রও বটে। তিনি যে সবসময় বড়াই করে বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বড় ''ডিল-মেকার'' হচ্ছেন তিনি, সেটা এখন আরও জোর গলায় বলতে পারবেন। আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? ইসরায়েল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক: যেসব কারণে সম্ভব নয় ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ইউএই-ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম ‘ঐতিহাসিক‘ ফ্লাইট ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? গত আগষ্ট মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথাকথিত \"আব্রাহাম চুক্তি\" ঘোষণা করেন। তার যে কোন কাজ, যেটিতে ইসরায়েলের সুবিধা হয়, বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সুবিধা হয়, সেটা আমেরিকার ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের খুশি করবে। এই ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের একটা বড় ভিত্তি। ইরানের বিরুদ্ধে মিস্টার ট্রাম্প আমেরিকার বন্ধুদের যে জোটের কথা বলেন, সেটা অনেক বেশি ভালোভাবে কাজ করবে যদি উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্কের খোলস থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে খোলাখুলি সম্পর্ক স্থাপন করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তথাকথিত \"শতাব্দীর সেরা সমঝোতা\" বলে যে শান্তি চুক্তির কথা বলতেন, সেটার কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এই সমঝোতা, যেটার নাম দেয়া হয়েছে 'আব্রাহাম চুক্তি', তা মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। মিস্টার ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস স্বাভাবিকভাবেই এটিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির এক বিরাট অর্জন বলে বর্ণনা করছে। ৪. ফিলিস্তিনির মনে করছে তারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার আবারও ফিলিস্তিনিদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে কাঠের চামচ। আব্রাহাম চুক্তিকে তারা এরই মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা বলে বর্ণনা করেছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে বহু বছরের একটা ঐকমত্য ছিল। সেটি হচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক একমাত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার মাধ্যমেই হতে পারে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা যখন পূর্ব জেরুসালেম আর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের মধ্যে দুঃসহ দিন কাটাচ্ছে, গাজার খোলা কারাগারে বন্দী, তখন ইসরায়েল এই আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করছে। আবুধাবীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানই কার্যত সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক। তিনি বলেছিলেন, এই চুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাজি হতে হবে যে পশ্চিম তীরের এক বিরাট ফিলিস্তিনি এলাকা তারা নিজেদের সীমানাভুক্ত করবে না। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি অঞ্চল সীমানাভুক্ত করার পরিকল্পনার জন্য প্রচন্ড আন্তর্জাতিক বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন। এ কারণে তাকে মনে হচ্ছিল যেন এই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটতে হচ্ছিল। এখন অবশ্য তিনি এই রাজনৈতিক কানা-গলি থেকে বেরিয়ে আসতে যেন মুখ রক্ষার একটা সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই চুক্তির সুবাদে। তবে এই কাজ তারা কখনোই করতে পারতো না সৌদি আরবের সম্মতি ছাড়া। আরব শান্তি চুক্তি প্রণয়নকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, যাতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবি তোলা হয়েছিল। সৌদি বাদশাহ সালমান হচ্ছেন ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র দুটি স্থানের জিম্মাদার। এই সুবাদে তিনি বিপুল কর্তৃত্বের অধিকারী ইসলামী দুনিয়ায়। কাজেই হঠাৎ করে তিনি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে বসবেন এমন সম্ভাবনা কম। তবে তার ছেলে এবং রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হয়তো অতটা আপত্তি করবেন না। ৫. ইরানের জন্য এক নতুন মাথাব্যাথা ইরানের নেতারা এই চুক্তির ব্যাপক নিন্দা করেছেন। এটা শুধু বাগাড়ম্বর নয়। আব্রাহাম চুক্তি আসলেই তাদের একটা বাড়তি চাপের মুখে ফেলবে। ইরানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেটা এমনিতেই যথেষ্ট অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এখন তাদের জন্য যোগ হলো এক নতুন কৌশলগত মাথাব্যাথা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে ইরানে বিক্ষোভ ইরান থেকে ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটিগুলো বহু দূরে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান ঘাঁটিগুলো উপসাগর পাড়ি দিলেই অপর তীরে। ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর যদি কখনো বিমান হামলার কথা উঠে, তখন এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ইরানীদের জন্য নড়াচড়ার জায়গা যেন আগের চাইতে অনেক বেশি সংকুচিত হয়ে আসলো।", "doc2": "Mai ba da shawara kan harkokin tsaro a Isra'ila na cikin jirgin da ya tashi zuwa UAE ranar 1 ga watan Satumba Ministan harkokin wajen Bahrain ya halarci taron tare da sanya hannu kan nata yarjejeniyar don daidaita alakarta da Isra'ila, kamar yadda Shugaba Donald Trump ya sanar a makon jiya. Wannan shi ne dalilan da ya sa ma'amaloli suke da muhimmanci. 1. Ƙasashen Larabawa na gani za su samu damarmakin cinikayya Yarjejeniyar ta taimaka wa jama'ar UAE waɗanda suka gina kansu a harkar soji sannan a matsayin wani waje na yin kasuwanci ko kuma zuwa hutu. Amurkawa ta taimaka wajen ƙulla yarjejeniyar da alƙawarin samar da manyan makamai waɗanda a baya da ƙyar UAE take iya samu. Sun haɗa da jirgin yaƙi ƙirar F-35 da kuma EA-18G. Haɗaɗɗiyar Daular Larabawa ta yi amfani da dakarunta da ke Libya da Yemen. Amma babbar abokiyar gabarta ita ce Iran a wani ɓangaren gaɓar tekun. Jared Kushner, surukin Shugaba Trump, ya taka muhimmiyar rawa a wannan lamari. Isra'ila da Amurka su ma kamar UAE ba su yarda da Iraniyawa ba. Haka ma Bahrain. Har zuwa shekarar 1969 Iran tana iƙirarin Bahrain a yankinta take. Sarakunan Bahrain su ma suna kallon wani ɓangaren mabiya mazhabar Shi'a a matsayin ƙungiyar Fifth column ga Iran. Duka ƙasashen Gulf sun ɓoye ƙawancensu da Isra'ila. Suna fatan yin cinikayya a bayyane; Isra'ila na da ɗaya daga cikin manyan fannonin fasaha ta duniya. Kafin lokacin korona, 'yan Isra'ila na son hutu waɗanda suke zuwa hamada da bakin teku da manyan shagunan yankin tekun Fasha. Kasuwanci ne mai kyau. 2. Isra'ila ta rage keɓe yankinta Daidaita alaƙa da UAE da Bahrain babbar nasara ce ga 'yan Isra'ila. Firaminista Benjamin Netanyahu ya yi imani da dabarun da aka fara amfani da su a shekarun 1920 na \"Iron Wall\" tsakanin ƙasar Yahudawa da Larabawa. Abin shi ne ƙarfin da Isra'ila ke da shi zai sa Larabawa su gano cewa zaɓin da suke da shi shi ne amincewa da wanzuwarta. Isra'ilawa ba ta son keɓewar da ake yi mata a Gabas ta Tsakiya. Zaman lafiya da Masar da Jordan bai taɓa zuwa cikin sauƙi ba. Ƙarfafa ƙawance don yaƙar Iran wata babbar nasara ce. Mista Netanyahu na ganin Iran a matsayin babbar abokiyar gabar Isra'ila, a wasu lokutan tana kwatanta shugabanninta da 'yan Nazi. Ya yi shiru kan korafinsa na asali game da yiwuwar sayen makamai na Hadaddiyar Daular Larabawa. Shi ma Mista Netanyahu yana cikin rudani, yana fuskantar shari'a kan cin hanci da rashawa da ka iya kai shi ga zaman gidan yari. Ya soma kula da cutar korona yadda ya kamata daga bisani kuma labari ya sha bamban. Masu adawa suna gudanar da zanga-zanga a wajen gidansa da ke Kudus. 3. Donald Trump na bikin juyin mulkin a manufofin ƙasashen waje Yarjejeniya na aiki a matakai daban-daban ga Shugaban Amurka. Babban ci gaba ne ga dabarunsa na \"matsin lamba\" kan Iran. Har ila yau, abu ne mai muhimmanci musamman a shekarar gudanar da zaɓe ya goyi bayan alfaharin da yake yi cewa shi ne babban mai shiga tsakani wajen ƙulla yarjejeniya. Donald Trump ya sanar da \"Yarjejeniyar Abraham\" a fadar White House a watan Agusta Duk wani abu da ya yi yana amfanar Isra'ila ko ma gwamnatin Benjamin Netanyahu, ya yi daidai da masu zaɓe Kirista wani muhimmin ɓangare na magoya bayansa. Ya kamata ƙawancen \"Ƙawayen Amurka\" kan Iran su yi aiki yadda ya kamata idan Larabawan yankin Gulf za su bayyana lamuransu maimakon ɓoye-ɓoye kan alaƙarsu da Isra'ila. Abin da Shugaba Trump ke kira \"Yarjejeniyar ƙarni\" don samar da zaman lafiya tsakanin Isra'ila da Falasdinawa ba lalle ya tabbatu ba. Amma \"Yarjejeniyar Abraham\", kamar yadda aka san yarjejeniyar Isra'ila da UAE, wani gagarumin sauyi ne ga daidaiton iko a Gabas ta Tsakiya kuma Fadar White House ta gabatar da shi a matsayin babban juyin mulkin manufofin ƙasashen waje. 4. Falasɗiwa na ganin an yaudare su Sun bayyana Yarjejeniyar Abraham a matsayin cin amana. Sabuwar yarjejeniyar ta kawo ƙarshen yarjejeniya da Larabawa suka cimma abin da ke nufin alakar da ake da ita da Isra'ila ita ce samar da 'yanci ga Falasɗinawa. Amma yanzu Isra'ila na gyara alakar jama'a da kasashen Larabawa yayin da Falasɗinawa har yanzu suke cikin zulumi a karkashin mamayar da aka yi a gabashin Kudus da Yammacin Gabar Kogin Jordan, abin da ya kai ga buɗe gidan yari a Gaza. Yarima mai jiran gado na Abu Dhabi, Mohammed bin Zayed Al Nahyan, mai rikon kwarya na UAE, ya ce farashinsa ga yarjejeniyar shi ne yarjejeniyar Isra'ila ta dakatar da mamayar wasu sassan Yammacin Gabar Kogin Jordan. Shugabannin Falasɗinu sun yi watsi da yunƙurin ƙasashe biyu na yankin Gulf na daidaita alaƙa da Isra'ila Amma Firaminista Netanyahu ya yi kamar ya ja da baya ga ra'ayin, a yanzu saboda matsin lambar kasashen duniya. Firgicin Falasɗinawa zai karu yanzu da Bahrain ta shiga yarjejeniyar. Hakan ba zai taɓa faruwa ba, ba tare da amincewar Saudiyya ba. 'Yan Saudiyya su ne kan gaba a shirin wanzar da zaman lafiya da ke neman a bai wa Falasɗinawa 'yanci. Matakin Sarki Salman a matsayin mai kula da wurare mafi tsarki biyu a addinin musulunci ya ba shi babban iko. Abu ne da ba lalle ya san da Isra'ila ba. Ɗansa da magajinsa, Mohammed bin Salman, na iya sakin jiki. 5. Iran na da sabon ƙalubale Gwamnatin Iran ta yi tur da yarjejeniyar. Yarjejeniyar Abraham ta sanya su cikin ƙarin damuwa. Takunkumin da Shugaba Trump ya sanya tuni ya haifar da matsalar tattalin arziki. Yanzu suna da wani ciwon kan. Yarjejeniyar UAE da Isra'ila ta janyo zanga-zanga a Iran Sansanonin jiragen saman yakin Isra'ila sun yi wa Iran nisa. Hadaddiyar Daular Larabawa na gefen da ruwan Gulf. Hakan na da matuƙar muhimmanci idan aka dawo batun maganar kai hare-hare ta sama kan wuraren nukiliyar Iran. 'Yan Iran din sun gano cewa an rage musu damar yin wasu dabaru."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47685393", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-40210059", "doc1": "বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শো'তে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন টেরিজা মে। এতে মনে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-র সময় শেষ হয়ে এসেছে। তার উপস্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি এর আগে দু'বার পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে হেরে গেছে, এবং তিনি তৃতীয়বারের মতো এটিকে পার্লামেন্ট এনে আবার পাস করানোর চেষ্টা করবেন - এ জল্পনাকে কেন্দ্র করে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়ছে। এমন কি তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্যরাও এখন তার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আপত্তি গোপন করতে পারছেন না। অবশ্য টেরেজা মে যদি এই বিরোধিতাকে আমলে না নেন এবং তার পদ আঁকড়ে থাকেন তাহলে এই অসন্তুষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা কি করবেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু এমপি বলছেন, তারা হয়তো অনিচ্ছাসত্ত্বেও টেরেজা মে'র ব্রেক্সিট চুক্তিটি তৃতীয়বার ভোটে উঠলে তাকে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু তার শর্ত হবে এই যে, ইউ-র সাথে আগামী আলোচনায় তিনি আর ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। লন্ডনে ব্রেক্সিট-বিরোধী শোভাযাত্রা। আরো পড়তে পারেন: লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি কতটা সম্ভব? সিলেটে বাসের চাকায় ছাত্র পিষ্ট হবার আগের মুহুর্ত গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ সংবাদপত্রগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মিসেস মে'র ওপর তীব্র চাপ তৈরি হচ্ছে এবং মন্ত্রিসভা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। অবশ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলছেন, মিসেস মে'কে সরিয়ে দেয়াটা ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা ভাঙতে পারবে না। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এক গভীর বিভেদ তৈরি হয়েছে, এবং কিভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তাই টেরেজা মে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েও দেন, তা হলেও যুক্তরাজ্যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না।", "doc2": "Duk jam'iyyar da ta samu kujerun majalisar dokoki 326 cikin 650 da ake da su a kasar, ita ce za ta kafa gwamnati Cikin masu kira da ta yi murabus har da jagoran jam'iyyar adawar kasar Jeremy Corbyn. Sai dai farai ministar ta yi biris da kiraye-kirayen kuma ba ta nuna alamun za ta yi murabus. Jam'iyyar da ta samu kujerun majalisar dokoki 326 cikin 650 da ake da su a kasar, ne za ta kafa gwamnati. Ana ganin Jam'iyyar Conservative mai mulki tana kan gaba, amma kuma da wuya ta samu rinjayen da ake bukata da zai ba ta damar kafa gwamnati. Babu jam'iyyar da za ta iya samun adadin kujerun da ake bukata. Don haka jam'iyyar da ta samu mafi rinjayen kujeru a zaben za ta kulla hadaka da karamar jam'iyya don su kafa gwamnati tare. Sai dai ga alama wannan sakamakon ba zai yi wa Misis May dadi ba, saboda yadda ita ce bisa radin kanta ta kira zaben na ba zata a tunanin za ta samu gagarumin rinjaye, amma sai gashi reshe yana so ya juye da mujiya. Nick Clegg ya faɗi a mazaɓarsa Tsohon Mataimakin Farai Ministan Birtaniya Nick Clegg ya sha kayi a hannun dan jam'iyyar Labour a mazabar Sheffied Hallam. Alex Salmond ya faɗi a mazaɓarsa Hakazalika, tsohon Shugaban jam'iyyar Scotish National Party Alex Salmond ya sha kayi a mazabarsa ta Gordon. Jim kadan bayan fara bayyana hasashen sakamakon zaben ne, darajar kudin kasar wato fam ya fadi idan aka kwatantashi da na dalar Amurka. A watan Afrilu ne Farayi Ministar Birtaniya,Theresa May ta ba da sanarwar kiran zaben ba zata. Misis May ta ce Birtaniya na bukatar yanayi na tabbas da zaman lafiya da shugabanci mai dorewa bayan zaben raba gardamar ficewa daga Tarayyar Turai da aka yi a bara."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46567154", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46388887", "doc1": "মোহাম্মদ বিন সালমান ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন সেনেট একই সঙ্গে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো ১৯৭৩ সামরিক শক্তি বিষয়ক আইন ব্যবহার করে ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের ওপর সেনেটে ভোট গ্রহণ করা হলো। এই ভোটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু সতীর্থ রিপাবলিকান দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সাথে যোগ দেন। তবে এই প্রস্তাবকে মূলত প্রতীকী হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এটা আইন হিসেবে গৃহীত হবে এমন সম্ভাবনাও কম। ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত মাস থেকেই সৌদি যুদ্ধবিমানগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদের প্রশ্নে মার্কিন সেনেটের সিদ্ধান্ত ছিল সর্বসম্মত। সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সিনেটের ভোট নিয়ে কথা বলছেন। আরো পড়তে পারেন: গণতান্ত্রিক অধিকার হুমকির মুখে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ 'হৃৎপিণ্ড' নিতে ফিরে এলো যে বিমান সেনেটের এই প্রস্তাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ক্ষমতাধর পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাসোগজির হত্যার জন্য যেসব সৌদি দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ভার্মন্টের স্বতন্ত্র সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এই প্রস্তাবের উপস্থাপকদের একজন। ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, \"আজ সৌদি আরবের স্বৈরশাসকদের প্রতি আমরা বলেছি যে আমরা তাদের সামরিক অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হতে চাই না।\" জামাল খাসোগজির হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে রিপাবলিকান সেনেটর বব কর্কার বলেন, \"আজ যদি কোন জুরির সামনে যুবরাজের বিচার হতো তাহলে আমার ধারণা ৩০ মিনিটের মুখে তিনি দোষী প্রমাণিত হতেন।\" বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট আশার বলছেন, এই দুটি প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এই বার্তাই দেয়া হয়েছে যে বেশিরভাগ সেনেটর মনে করেন সৌদি আরবের সাথে বর্তমান সম্পর্ক এভাবে চলতে পারে না। সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ককে তারা মূল্য দেয় ঠিকই, কিন্তু যুবরাজ মুহাম্মদের নেতৃত্বের প্রশ্নে তারা প্রচণ্ড অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। ইয়েমেনে লড়াইয়ের প্রতিবাদের তিউনিশিয়াতে বিক্ষোভ। যুবরাজের বিদেশি অভিযান বিশেষভাবে ইয়েমেনের যুদ্ধে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে বলে বিবিসি সংবাদদাতা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন জামাল খাসোগজির নৃশংস হত্যার বিস্তারিত প্রকাশ হতে শুরু করে। অনেক সেনেটর মনে করেন, সৌদি আরব এমন এক মিত্র-দেশ যে বিশ্বাস করে এ ধরনের কাজ করে সে সহজেই পার পেয়ে যাবে। সৌদি আরবকে সমর্থন করে হোয়াইট হাউজ যে অবস্থান নিয়েছে, অনেক সেনেটর তাতে হতাশ। সেনেটর বব কর্কার উল্লেখ করেন, মার্কিন সেনেটে দ্বিদলীয় কর্মকাণ্ডের মুলে রয়েছে এই ধারণা যে প্রশাসনের স্বার্থ এবং মার্কিন মূল্যবোধ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকছে না।", "doc2": "Al'ummar Yemen suna cikin matsanancin hali saboda yaki Galibin sanatocin kasar ba su ji dadin kalaman Shugaba Donald Trump ba game da kisan dan jarida nan, Jamal Khashoggi. Sakateren harkokin wajen kasar Mike Pompeo da kuma Sakataren tsaron kasar Jim Mattis sun bukaci sanatocin da kada su goyi bayan kudirin, inda suka ce hakan zai kara sa al'amura su tabarbare a Yemen. Sanatoci 63 ne suke goyon bayan kudirin, yayin da 37 ba sa goyon bayansa. Me ya sa sanatocin ba su ji dadin kalaman Trump ba? An ci gaba da sukar kasar Saudiyya tun bayan kisan dan jarida Khashoggi a karamin ofishin jakadancin Saudiyya da ke Turkiyya a ranar 2 ga watan Oktoba. Hukumar leken asirin Amurka CIA ta ce Yarima mai jiran gado Mohammed bin Salman ne ya ba da umarnin kisan dan jaridar. Sai dai Shugaba Trump ya yi watsi da rahoton hukumar CIA. Shugaba Trump ya ci gaba da cewa batun ba zai shafi huldar kasuwanci da ta soji da ke tsakainsu da Saudiyya Ya bayyana cewa dangantaka da Saudiyya tana da muhimmanci, kuma ya yi biris da kiraye-kirayen da ke cewa ya kamata a sanya wa shugabannin Saudiyya takunkumi. Har ila yau, sanatocin sun nuna rashin jin dadinsu kan yadda Shugabar hukumar CIA Gina Haspel ta ki halartar wani zama na musamman da majalisar dokokin kasar ta yi kan dangantakar kasar da Saudiyya a ranar Laraba. \"Lokaci da ya yi da za aike wa Saudiyya wani sako, kan keta hakkin dan Adam da mummunan halin da ake ciki a kasar Yemen,\" in ji Sanata Bob Menendez na jam'iyyar Democrat. Mene ne tasirin wannan kudirin? Nasarar da wannan kudin ya samu na nufin za a ci gaba da tattauna batun goyon bayan da Amurka take ba Saudiyya a mako mai zuwa. Wasu sanatocin wadanda suke goyon bayan yakin Yemen, sun nuna goyon bayansu ga kudirin ne saboda nuna rashin amincewa da matakin gwamnatin Trump kan kisan Khashoggi. Idan majalisar dattawan ta mayar da kudirin doka, wanda da wuya ya samu amincewar majalisar wakilan kasar, inda 'yan jam'iyyar Republican ne ke da rinjaye. Kuma sun ki amincewa da irin wadannan kudirori a baya. Amma kuma wannan zai iya sauyawa saboda a sabuwar shekarar nan ne, 'yan jam'iyyar adawa ta Democrat za su karfe iko da majalisar wakilan kasar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56434032", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/media-56436162", "doc1": "আর এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বেশিরভাগই এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে কোভিডের টিকা নিরাপদ ও কার্যকরী। কিন্তু প্রায় প্রত্যেক ধর্মেই কিছু নেতা আছেন যারা এসম্পর্কে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। এ ধরনের গুজব ও মিথ্যা তথ্য রটানোর অনেক ঝুঁকি রয়েছে।", "doc2": "Ku latsa hoton da ke sama don kallon bidiyon: Malaman addiani a hannu guda za su taka muhimmiyar rawa wajen jan hankalin mutane a yi musu allurar. Wasu da dama kuma na ta ƙoƙrin yaɗa bayanan cewa alluran ba su da illa kuma suna aiki, amma a kowane addini akwai waɗanda ake samu su kuma suna kushewa, inda wasu ke yaɗa labaran ƙarya cewa allurar riga-kafin na jawo wa mutane abubuwa marasa kyau da yawa. A wannan bidiyon, BBC ta yi duba kan hakan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44645158", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-44614114", "doc1": "ভাষা সমস্যা তো আছেই। সেই সাথে তাদের চেখে দেখতে হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের সব খাবার। রাশিয়ায় গিয়ে আপনি কী খেতে পারেন? বিবিসির রুশ বিভাগ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে কিুছু রুশী খাবারের সঙ্গে। কোন দিন রাশিয়ায় গেলে এটা আপনারও কাজে লাগতে পারে। ১. কেফির (кефир): ফুটবলের গোল দেখার আগে আপনার দিনটা শুরু করুন এই রুশী ঘোল দিয়ে। প্রতি গ্লাস কেফিরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন আর পুষ্টিকারক। নোনা ভাব একটু বেশি মনে হলে খেতে পারেন রিয়াঝেংকা (ряженка)। সেটাও ঘোলের কাছাকাছি ড্রিংক। দাম: ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট) কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে দুধেরে বোতলের কাছাকাছি। ২. পেলমেনি (пельмени): পেলমেনি হচ্ছে খাঁটি রুশী পিঠা। অনেকটা পুলি পিঠার মতো। সুপার মার্কেটে এটা ফ্রোজেন কিংবা ফ্রেশ দু'ধরনেই পাওয়া যায়। কিনে ফুটন্ত পানিতে আট মিনিট সেদ্ধ করুন। ই পিঠার ভেতরে থাকে মাংস (চেক করে নিন কিসের মাংস), মাশরুম কিংবা পনির। মাখন, সাওয়ার ক্রিম কিংবা মেওনেইজ দিয়ে পরিবেশন করুন। দাম: প্রতি কেজি ২০০ রুবল (৩ ডলার) কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে পাবেন ফ্রেশ পেলমেনি। ফ্রোজেন সেকশনেও এটা পাওয়া যায়। ৩. গ্রেচকা (гречка): বাংলাদেশে যাকে 'বাজরা' নামে ডাকা হয় গ্রেচকা আসলে তাই। ইংরেজি নাম 'বাকহুইট'। স্বাস্থ্যগুনের জন্য রুশরা একে 'সুপারফুড' নামে ডাকেন। মিষ্টি কিংবা ঝাল দু'ভাবেই এই গ্রেচকা রান্না করা যায়।দুধ আর চিনি দিয়ে সেদ্ধ করে সকালে নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। অথবা নোনা জলে সেদ্ধ করে মাখন মিশিয়ে দুপুরের খাবারে সাইড ডিশ হিসেবেও গ্রেচকা পরিবেশন করা যায়। দাম: প্রতি কেজি ৬০ রুবল (১ ডলার)। কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের তৈরি খাবার সেকশনে। অথবা সেখানেআটা ময়দা পাওয়া যায় সেখানে গ্রেচকা পাবেন। ৪. সব্জীর আচার, সোলেনিয়া (соленья): এই আচার ছাড়া কোন রুশী খাবার সম্পুর্ণ হয় না। এগুলো কাঁচের জারে পাওয়া যায়। বরফ ঠান্ডা ভদকার সাথে নোনা শসা আর কালো বোরোডিনো রুটি খেতে পারেন। মাছ-মাংসের সাথে খেতে পারেন বাঁধাকপির আচার। রুশরা বলেন, হ্যাংওভার কাটাতে এক গ্লাস আচারের নোনা জলের জুড়ি নেই। দাম: প্রতি কেজি ১০০ রুবল (১.৬০ ডলার) ৫. সুশ্কি, বারানকিআর বুবলিকি (сушки, баранки и бублики): এগুলো হলে রুশী রুটি -- বে‌গ্‌ল এবং প্রেটজেল। সুশ্কি হচ্ছে রিং-এর মতো দেখতে ছোট, শক্ত বিস্কুট। এগুলো প্লেন হতে পারে, মিস্টি এবং নোনা -- দু'ধরনেরই হতে পারে। ভ্যানিলা ফ্লেভার্ড হতে পারে। সুশ্কির ওপরে কালজিরা কিংবা পোস্তদানা দেয়া থাকতে পারে। বারান্‌কি খেতে সুশ্কিরা তুলনায় নরম। কিন্তু বুবলিকি সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে নরম। দাম: ২০০ গ্রাম প্যাকেটের দাম ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট)। কোথায় পাবেন: দোকানের যে অংশে রুটি এবং কেক বিক্রি হয়। ৬. গাযিরোভকা (газировка): আপনার খাওয়াদাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে থাকবে এসব রুশী ড্রিংক। এগুলোর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত আমলে। তারা মার্কিন কোকাকোলার সাথে পাল্লা দিতে চাইছিল। 'বাইকাল' দেখতে কোকাকোলার মতই। কিন্তু এটি তৈরি হয়েছে নানা ধরনের লতাপাতা দিয়ে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তার্খুন দেখতে উজ্জ্বল সবুজ। এটি ট্যারাগন দিয়ে তৈরি। সিট্রো দেখতে উজ্জ্বল হলুদ -- লেবু এবং ভ্যানিলা দিয়ে তৈরি। সায়ানির রং সবুজাভ সোনালি। এটিও লেবু আর নানা লতাপাতা থেকে তৈরি। দাম: বোতল প্রতি ৪০ রুবল (০.৬ ডলার)। কোথায় পাবেন: চিল্ড ড্রিংক সেকশনে, কিংবা অ্যালকোহলমুক্ত ড্রিংকসের তাকে। ৭. পিচচিয়ে মালাকো (Птичье Молоко): রুশ ভাষায় এর মানে হলো 'পাখির দুধ'। এটা খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। মার্শমেলোর ওপর চকোলেট দিয়ে তৈরি। ১৯৭০-এর দশকে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছিল। দাম: প্রতি পাঁচশো গ্রাম ৩০০ রুবল। কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের সুইট সেকশনে। 8. গ্ল্যাযিরোভানি সিরক (глазированный cырок): আরেকটা জনপ্রিয় মিস্টি হচ্ছে গ্ল্যাযিরোভানি সিরক। পনীরের ওপর চকোলেটের আস্তুর। খেতে অনেকটা চিক কেকের মত। দাম: প্রতি পিস ২০-৪০ রুবল (৩০-৬০ সেন্ট) কোথায় পাবেন: যেখানে ডেইরি প্রডাক্ট থাকে। ৯. কুলিউভকা ভি সাখারে (клюква в сахаре): টক-মিস্টি এই খাবার ফুটবল ম্যাচের দর্শকদের অপরিহার্য সঙ্গী। দাম: ৭০ রুবল (১ ডলার), প্রতি ১০০ গ্রাম। কোথায় পাবেন: সুইট সেকশনে। ১০. প্রিয়ানিকি (пряники): আপনি দিন শেষ করবেন এক কাপ চা আর এই রুশী মিস্টি জিঞ্জারব্রেড কেক দিয়ে। মধু দিয়ে তৈরি এই কেক কিনে অনেক ফুটবল ফ্যান স্যুভেনির হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কেনার সময় লক্ষ্য করুন সেগুলো টুলা-তে তৈরি কিনা। কারণ সেগুলোই স্বাদে-গন্ধ্যে সেরা। দাম: প্রতি কেজি ১৮০ রুবল (২.৮০ ডলার) কোথায় পাবেন: বিস্কুট সেকশনে।", "doc2": "Kwallon kafa na sa magoya baya daukar shauki da kuma haifar da damuwa idan ba a yi nasara ba Sai dai duk da cewa gasa ce da ke jan hankalin jama'a a sassan duniya daban daban, akwai wasu da ba su damu da wasan ba. Shin ko me yasa haka? BBC ta yi nazari kan dalilin da ya wasu ba sa sha'awar gasar da kuma irin abubuwan da su ke mayar da hankali a kai. Wadanda basa sha'awar kwallon kafa Sun fi maida hankali kan wasu abubuwa"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45544466", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48092161", "doc1": "উত্তর কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট কিম জং-আনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ১. পিয়ংইয়ংয়ে মুখোমুখি বৈঠক উত্তর কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট কিম জং-আনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। এক দশকের বেশি সময় পর এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোন শীর্ষ নেতা উত্তরের রাজধানীতে যাচ্ছেন। কাগজপত্রের হিসাবে যে দেশ দুটি এখনো যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। এ বছরের প্রথম দিকে এই দুই নেতার দুইটি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে কোরীয় উপদ্বীপ এলাকা থেকে পারমানবিক মিসাইল কর্মসূচী বন্ধের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মি. কিম। তবে এখনো বেশকিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়ে গেছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণ এবং উত্তর কোরিয়ান মানবাধিকারের মতো বিষয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান কে? নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন: কী দেখে এলো বিবিসি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসায় আস্থা নেই বিএনপির সোমবার রাতে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭০তম বার্ষিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড ২. অ্যামি অ্যাওয়ার্ড সোমবার রাতে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭০তম বার্ষিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড। আমেরিকান টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য সম্মানসূচক এই আয়োজনটি এতদিন বিনোদন হিসাবে দেখা হলেও, কিছুদিন আগে থেকে তার সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে। 'অ্যাপ্রেন্টিস' অনুষ্ঠানের জন্য দুইবার মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কার না পাওয়ায় একে রাজনীতির অনুষ্ঠান বলে বর্ণণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০১২ সালে টুইট করেছিলেন, ''অ্যামির পুরোটাই রাজনীতি, এ কারণেই...অ্যাপ্রেন্টিস জিততে পারেনি।'' বেশ কয়েকজন তারকা অভিনেতা গতবছর মি. ট্রাম্পকে বেশ ব্যাঙ্গাত্মক জবাব দেন। অনেকেই অপেক্ষা করছেন যে, এ বছর কি ঘটবে? ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা অস্ট্রিয়ার সলযবার্গে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ৩. ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা অস্ট্রিয়ার সলযবার্গে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের জন্য এই বৈঠকটি একটি সুযোগ হিসাবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন। উভয় পক্ষই বলে যাচ্ছে যে, আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু একটি চুক্তির জন্য এখনো অনেক বিষয় বাকি রয়ে গেছে। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত, তথ্য সুরক্ষা এবং ইউরোপের কোর্ট অফ জাস্টিসের বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। পুয়ের্তে রিকোয় হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাত হানার একবছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এখনো ওই আঘাতের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি দ্বীপ দেশটি। ৪. মারিয়ার এক বছর পুয়ের্তে রিকোয় হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাত হানার একবছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এখনো ওই আঘাতের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি দ্বীপ দেশটি। পুয়ের্তে রিকো যুক্তরাষ্ট্রের একটি আন ইনকর্পোরেটেড টেরিটরি বা বিচ্ছিন্ন অঞ্চল, যার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকলেও, মার্কিন সংবিধান পুরোপুরি প্রযোজ্য হয় না। ওই হ্যারিকেনের পর এখনো দ্বীপটিতে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। মাত্র গত মাসে সেখানে পুরোপুরি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ওই ঝড়ে দ্বীপটিতে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় এবং একশো বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই বর্ষপূর্তিতে এই দ্বীপ দেশটি আবার সবার নজরে উঠে আসবে।", "doc2": "Ga wasu daga cikin abubuwa muhimmai da muke sa ran za su faru a cikin wannan makon. 1- Watan Ramadana na kan hanya Abincin buda baki da aka shirya a wani gidan marayu da ke Bangladesh Ana sa ran cewa wata mai tsarki da Musulmi suke azumi a cikinsa wato Ramadan zai kama cikin mako mai zuwa. A cikin wannan mankon ne Musulmai zai su fara shirye-shiryen tarbar wannan watan. Shine wata ma fi tsarki a jerin watanni 12 na Musulunci. A wannan wata ne Musulman duniya da suka kai biliyan 1.6 za su yi azumi tun daga fitowar alfijir har zuwa faduwar rana domin kusantar ubangijinsu. A kan shafe kwanaki 29 zuwa 30 ana azumi cikin watan na Ramadan. A duk lokacin da aka ga jinjirin watan, ana wayar gari da fara azumi, idan kuma azumi ya zo karshe ganin jinjirin watan Shawwal ke tabbatar da karshen Ramadan. 2- Ranar ma'aikata ta duniya A cikin wannan makon ne za a yi bukukuwan tunawa da zagayowar ranar ma'aikata a fadin kasashen duniya. Majalisar Dinkin Duniya ta ware duk ranar daya ga watan Mayu na kowace shekara ne, don nuna irin gudunmuwar da ma'aikata ke bayarwa a harkokin yau da kullum, da kuma fito da matsalolin da ma'aikatan ke fuskanta don magance su. Kasashe fiye da 80 a fadin duniya ne dai ke yin hutu a wannan ranar, yayin da a wasu kasashen, ma'aikata kan gudanar da fareti, tare da shirya taruka daban-daban. Sai dai a Najeriya wannan rana na zuwa ne kwanaki kadan bayan Shugaba Muhammadu Buhari ya amince da naira dubu 30 a matsayin karancin albashi ga ma'aikatan kasar. 3- Shugaban Najeriya zai koma gida A makon da ya gabata ne Shugaban Najeriya Muhammadu Buhari ya isa birnin Landan, a wata ziyara da fadarsa ta ce ta kashin kai ce. Kafin ziyarar, sanarwar da fadar shugaban kasar ta fitar ta bayyana cewa shugaban zai yi kwana 10 ne a Birtaniyar. Ana sa ran cewa shugaban zai dawo a karshen wannan makon, kamar yadda fadar shugaban kasar ta bayyana. Sai dai kafin tafiyar shugaban, mai magana da yawunsa Malam Garga Shehu ya bayyana cewa shugaban zai rinka gudanar da aiki daga Landan din, \"domin kuwa ba hutu ya tafi yi ba.\" 4- Taron bitar gwamnoni a Najeriya A wannan makon ne zababbun gwamnoni 29 na Najeriya za su halarci wani taron bita na sanin makamar aiki da aka shirya masu a Abuja babban birnin kasar. Taron bitar zai fara ne da rajistra mambobin da za su halarci bitar a ranar Litinin. A ranar 9 ga watan Maris ne aka gudanar da zaben gwamnoni a Najeriya. Sai dai wasu jihohin ba a kammala zaben ba, sai bayan makonni sakamakon tsaiko da aka samu. 5- Gasar Zakarun Turai A ranar Talata ce kungiyar Tottenham za ta fafata da Ajax, sai kuma a ranar Laraba Barcelona ta karfi bakuncin Liverpool duka a wasan kusa da na karshe."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55555496", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55555184", "doc1": "ডা. ওমর আতিক বুঝতে পারছিলেন করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তাদের রোগীদের একটি বড় অংশ চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ওই বিপুল বিল মওকুফের। কিন্তু সেজন্য চড়া মাশুলও গুনতে হয়েছে তাকে। প্রায় ৩০ বছর ধরে চালানো ক্লিনিকটি গত বছর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। রোগীদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য ডা. আতিক একটি পাওনা আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়েছিলেন। কিন্তু হিসাব নিকেশ করে তিনি বুঝতে পারেন, তার রোগীদের আর্থিক দুর্দশা। এরপর ক্রিসমাসের সময় তিনি ২০০ রোগীকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন যে তাদের বকেয়া মওকুফ করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী নিজেকে আক্রান্ত মনে হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন? পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ডা. আতিক ১৯৯১ সালে পাইন ব্লাফ শহরে আরকানসাস ক্যান্সার ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লিনিকে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপির মত চিকিৎসা দেয়া হয় ওই প্রতিষ্ঠানে। ডা. আতিক লিটল রকের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সেসে একজন অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এবিসি'র গুড মর্নিং আমেরিকা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, \"আমার মনে হল মহামারির মধ্যে বহু মানুষ ঠিকানা হারিয়েছে, আপনজন মারা গেছেন অনেকের এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সব হারিয়ে নিঃস্ব হারিয়েছেন কত মানুষ। ফলে বকেয়া মওকুফের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর কী হতে পারে!\" আর এই কর্মের জন্য অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আরকানসাস মেডিকেল সোসাইটি থেকে শুরু করে পাওনা আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সবার বাহবা কুড়িয়েছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত অর্থ সংকটে নিজের ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।", "doc2": "A bara ne Dakta Umar Atiq ya rufe cibiyar kula da masu fama da cutar kansa wadda ya kafa kusan shekara 30 da ta gabata. Ya dauki wani kamfani karbo bashi aiki domin su karbo ma sa sauran kudaden da ma su shan magani a cibiyar tasa ba su biya ba, amma sai ya gano cewa yawancinsu na tsaka mai wuya saboda annobar korona ta talauta su. A karshen watan jiya daidai lokacin bikin Kirsimeti, ya aika mu su wasiku inda ya sanar da su cewa ya yafe dukkan bashin da yake bin su. \"Sannu a hankali na gano cewa akwai wasu iyalan da ba za su iya biya na ba,: inji Likita Atiq a wata hira da ya yi da shirin Good Morning America na tashar talabijin ta ABC. Saboda haka ne ni da mata ta, a matsayin iyali guda sai mu ka yi tunani kan batun da zummar yafe dukkan bashin. Sai mu ka ga cewa za mu iya yin haka, saboda haka ba mu yi wata-wata ba sai muka yafe bashin.\" Lilkita Atiq dan asalin kasar Pakistan ne, ya kafa cibiyar Arkansas Cancer Clinic a garin Pine Bluff cikin 1991, inda yake kula da masu fama da cutar kansa. A halin yanzu ya zama farfesa a jami'ar Arkansas da ke Little Rock, babban birnin jihar. \"Mun ga babu wani lokaci da yafi dacewa mu yi wannan aikin kamar yanzu da ake fama da annobar da ta daidaita iyalai, da rayukan mutane da wuraren sana'arsu.\" Ya ce jimillar bashin da yake bin masu jinyar su kusan 200 ya kai kusan dala $650,000. Ya aika wa kowannensu sakon gaisuwar Kirsimeti, wanda a ciki ya rubuta: \"Cibiyar Arkansas Cancer Clinic na alfaharin kula da kai a matsayin ka na mai fama da cutar daji. Duk da cewa akwai ani bangare na kudaden magani da kamfanonin ishora su ka riga su ka biya, amma akwai wani bangare da nauyin biyansa ya rataya a wuyan marasa lafiya. Wannan haka tsarin kiwon lafiyar kasarmu ke aiki a halin yanzu. Saboda haka Cibiyar ta yanke shawarar yafe dukkan bashin da muke bin dukkan marasa lafiyanmu. Muna muku fatan yin bukukuwan Kirsimeti .\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52171721", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52183523", "doc1": "ব্রোঙ্কস চিড়িয়াখানায় একটি বাঘ, ছবিটি ২০১৭ সালের এটি একটি মালায়ান বাঘিনী। বাঘিনীর নাম নাদিয়া। এর সাথে আরো ছয়টি বাঘের এই সংক্রমণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউইয়র্কের ব্রোঙ্কস চিড়িয়াখানায় থাকে বাঘিনীটি। চিড়িয়াখানার একজন কর্মীর মাধ্যমেই বাঘিনীর মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবানু ছড়ায়। গত মাস থেকেই উপসর্গ দেখা যেতে শুরু করে বাঘিনীর মধ্যে। শুষ্ক কাশি দেখা যায় যার আগে সেই কর্মীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিল বাঘিনীটি। চিড়িয়াখানার প্রধান পশু চিকিৎসক পল ক্যালে বলেন, \"এই প্রথম আমরা পুরো বিশ্বে এমন একটি ঘটনার প্রমান পাই যেখানে একজন ব্যক্তির দ্বারা একটি পশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয় এবং পশুটি এখন আসলেই অসুস্থ।\" চিকিৎসকরা এই সংক্রমণের সকল আলামত ও দৃষ্টান্ত অন্য সব চিড়িয়াখানা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ার করছে যাতে অন্যরা সতর্ক হতে পারে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, যে বাঘিনী অসুস্থ তার জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা এর দ্বারা যেসব তথ্য ও ধারণা পাবো সেটা ছড়িয়ে দেবো যাতে করে নোভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্বও জানতে পারে যে এর আচরণ কিরুপ। বাঘিনী নাদিয়া, তার বোন আজুল এবং আরো দুটি আমুর প্রজাতির বাঘের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেছে। বাঘগুলোর সাথে তিনটি আফ্রিকান সিংহেরও করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা গেছে। বাঘ ও সিংহ সবগুলোরই খাবারের স্বাদে একটা অসামঞ্জস্য দেখা গেছে। এছাড়া বাকিরা পশুচিকিৎসকদের অধীনে আছে এবং তুলনামূলক ভালো আছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে তারা ঠিক জানে না একটি পশুর দেহে কীভাবে এই ভাইরাসটি কাজ করে। সংক্রমণের ফলে একেক প্রাণি একেকভাবে সাড়া দিতে পারে। সব প্রাণিকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এই চিড়িয়াখানায় বাঘ বা সিংহ প্রজাতির আরো যেসব প্রাণি আছে তারা স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছে। এদের মধ্যে কোনো উপসর্গও নেই। ১৬ই মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সকল চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ আছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?", "doc2": "Daya daga cikin damisar da ke gidan zoo din An yi amannar cewa damisar, wacce ake kira Nadia, ita ce dabba ta farko da ta kamu da Covid-19 a Amurka. Mahukuntan gidan namun daji na Bronx Zoo, wanda ke birnin New York City, dakin gwaji na kasa na gandun dabbobi da ke Iowa ne ya tabbatar da cewa damisar na dauke da cutar. An yi amannar cewa wani ma'akacin gidan namun daji ne ya shafa wa Nadia da wasu dabbobi dangin damisa su shida, coronavirus. Dabbobin sun soma nuna alamun kamuwa da coronavirus, ciki har da yin tari mara majina, a watan jiya bayan sun yi mu'amala da mutumin, wanda ba a bayyana sunansa ba. ''Wannan ne karo na farko da aka samu irin wannan labarin a duniya cewa wani mutum mai dauke da cutar ya shafa wa dabba har ma ta fara da rashin lafiyar,'' kamar yadda Paul Calle babban ai kula da gidan Zoo din ya shaida wa kamfanin dillancin labarai na Reuters a ranar Lahadi. An samu labaran yadda a wasu sassan duniya da aka samu dabbobin da suka kamu da cutar, amma kwararru sun yi gargadi cewa babu wata hujja da ke tabbatar da cewa za su iya yin rashin lafiya ko su yada cutar. Mr Calle ya ce ya yi niyyar ya fitar da bayanan bincikensa ya rarrabawa sauran gidajen adana namun daji da cibiyoyin da ke bincike kan yaduwar Covid-19. Karin labaran da za ku so ku karanta \"Mun yi wa damisa [Nadia] gwaji kuma za mu tabbatar da cewa duk wani ilimi da muka samu a kan Covid-19 zai taimaka wa duniya wajen sake gano yadda cutar take,'' kamar yadda sanarwar gidan zoo din ta fada. Ana sa ran Nadia da 'yar uwarta Azul, da kuma wasu damussan biyu da zakunan AFirka da suka nuna alamun cutar, za su warke tas, a cewar gidan zoo din. ''Dabbobin suna fama da rashin son cin abinci amma in ban da haka suna nan lafiya karkashin kulawar likitan dabbobi,'' in ji sanarwar. Gidan zoo din ya ce ba a san ta yaya kwayar cutar ke yaduwa a jikin dabbobi kamar damusa da zakuna ba, tun da dabi''ar kowace dabba ta bambanta yayin da suka kamu da sabuwar cuta, amma za a sa ido kan dukkan dabbobin. Babu daya daga cikin dabbobin da suka hada da damisa da zakunan yankuna daban-daban da ke nuna alamar wata rashin lafiya. Me muka sani game da dabbobi da cutar? A bara ne aka fara gano wannan kwayar cuta a jikin 'yan adam a birnin Wuhan na China. An yi amannar kwayar cutar mai suna (Sars-CoV-2, wacce take haddasa Covid-19) ta samo asali ne daga jikin dabobin daji ta yadu zuwa ga 'yan adam a wata kasuwar dabbobi a Wuhan. Annobar dai tana yaduwa ne daga mutum zuwa mutum, amma a yanzu da ta kama damisa NAdia ta dasa alamomin tambaya kan yaduwar cutar daga dan adam zuwa dabbobi. An fara samun bullar cutar ne a kasuwar dabbobi ta Wuhan a China Sai dai ba a samu rahotonni da yawa kan bullar cutar a jikin dabbobi ba, amma an samu kadan kamar na Nadia da wasu karnuka biyu a Hong Kong. Sanarwar gidan zoo din ta ce ba a samu dabbobin da suka kamu da cutar ba a Amurka ko da kuwa dabbobin gida kamar mage da kare. Haka ma Kungiyar Lafiyar Dabbobi Ta Duniya da Hukuar LAfiya ta WHO sun ce babu wata hujja da ke nuna cewa karnuka da maguna za su iya yada coronavirus. Karin labarai masu alaka"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50367014", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50345010", "doc1": "প্রফেসর সোকোলফকে দেখা যাচ্ছে ১৮১২ সালের রুশ সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্ম পরে এক উৎসবে যোগ দিয়েছেন। ছাত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন ওই অধ্যাপক একটি নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন এবং তার ব্যাগের মধ্যে ওই নারীর হাত ছিল। ওলেগ সোকোলফ নামে ওই অধ্যাপক মাতাল অবস্থায় নদীতে পড়ে যান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে তিনি ওই নারী দেহের অংশগুলো নদীতে ফেলার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। ছাত্রী ২৪ বছর বয়স্ক আনাস্তাসিয়া ইয়েশচেঙ্কোর বিকৃত দেহ পুলিশ পরে ওই অধ্যাপকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। প্রফেসর সোকোলফ নেপোলিয়ন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ যাকে ফ্রান্স লেজিয়ন দ্যঅনিউর নামে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে। ''তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন,'' তার আইনজীবী আলেকজাণ্ডার পচুইয়েভ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন। আইনজীবী বলেছেন তিনি যা করেছেন তার জন্য তিনি এখন দু:খিত এবং তিনি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। প্রফেসর সোকোলফ পুলিশকে বলেছেন যে এক তর্কাতর্কির সময় তিনি তার প্রেমিকাকে খুন করেন এবং তারপর করাত দিয়ে তার প্রেমিকার মাথা, হাত ও পা কেটে ফেলেন। বলা হচ্ছে, অধ্যাপক তার প্রেমিকার দেহ সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তার আরও পরিকল্পনা ছিল নেপোলিয়নের সাজপোশাক পরে তিনি সবার সামনে আত্মহত্যা করবেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ৯৩ জনকে খুন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের যে সিরিয়াল কিলার খুন করে প্রেমিকের মাংস রান্না করলেন এক মহিলা নিজের করা খুনের দৃশ্যে নিজেই অভিনয় করেছেন যিনি মি: পচুইয়েভ বলেছেন, অধ্যাপক সোকোলফ হয়ত মানসিক চাপে ভুগছিলেন। নদীতে ডুবে হাইপোথার্মিয়ার শিকার হওয়ায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঐতিহাসিক নেপোলিয়নের ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন এবং বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ইতিহাস বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি এবং মিস ইয়েশচেঙ্কো যৌথভাবে বেশ কিছু বই ও গবেষণাপত্র লিখেছেন। অধ্যাপক সোকোলফ এবং মিস ইয়েশচেঙ্কো দুজনেই ফরাসি ইতিহাস পড়েছেন এবং তারা দুজনেই ঐতিহাসিক সময়ের পোশাক আশাকে সাজগোজ করতে ভালবাসতেন। তার শিক্ষার্থীরা তাকে প্রতিভাবান অধ্যাপক হিসাবে বর্ণণা করেছে এবং বলেছে তিনি ভাল ফরাসি বলতেন ও বিভিন্ন সময়ে নেপোলিয়নের অভিনয় করেছেন। তিনি ফ্রান্সের ইন্সটিটিউট অফ সোস্যাল সায়েন্স, ইকনমিক্স অ্যাণ্ড পলিটিক্স নামে প্রতিষ্ঠানের একজন সদস্য। তারা জানিয়েছে এই ঘটনার পর তারা তাদের বিজ্ঞান বিষয়ক কমিটি থেকে তাকে অপসারণ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে: \"ওলেগ সোকোলফের ভয়ঙ্কর অপরাধের কথা জেনে আমরা বিস্মিত। আমরা কখনও ভাবতে পারিনি তিনি এধরনের নৃশংস কাজ করতে পারেন।\"", "doc2": "Prof Sokolov sanye da kayan tarihi na sojojin Rasha lokacin wani biki Kafafen yada labarai sun ce an kama farfesan ne mai suna Oleg Sokolov, mai shekara 63 a cikin rafi dauke da jakkar mai kunshe da wasu sassa na jikin tsohuwar budurwar tasa, inda ya je domin jefarwa. Daga nan ne sai 'yan sanda suka gano ragowar gangar jikin marigayiyar mai suna Anastasia Yeshchenko, a gidansa. Farfesa Sokolov mutum ne da ya shahara, har ma ya samu lambar yabo ta Légion d'Honneur ta kasar Faransa. \"Ya amsa laifinsa,\" in ji lauyansa mai suna Alexander Pochuyev. Ya kuma ce farfesan ya yi nadamar abin da ya aikata, inda yanzu yake bai wa masu bincike hadin kai. Rahotanni sun ce farfesan ya shaida wa 'yan sanda cewa shi ne ya kashe matar bayan wani sabani da ya shiga tsakanin su, inda ya fille mata kai da hannuwa, da kuma kafafunta. An ce ya shirya cewa shi ma zai kashe kansa ne bayan ya batar da gawar tata baki daya. Lauyansa ya ce yana iya yiwuwa farfesan na fama ne da damuwa, kasancewar yana karbar maganin cutar sanyin jiki daga asibiti. Farfesan masanin tarihi ya rubuta litattafai da dama, inda shi da tsohuwar budurwar tasa suka hada hannu wajen rubuta wasu daga cikinsu. Shi da marigayiyar masana ne na tarihin kasar Faransa, inda sau da dama sukan sa dadaddun kaya irin na tarihi. Dalibansa sun bayyana shi a matsayin mai hazaka."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50969629", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50971491", "doc1": "২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিয়ে চালানো ইউসিএলের এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর কারণ নিশ্চিতভাবে না জানলেও গবেষকরা ধারণা করছেন কোনো সময়ে নিয়মিত ধূমপান করার ফলে শরীরে পাকাপাকিভাবে পরিবর্তন আসতে পারে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিবিসি'র একটি অনলাইন জরিপে অংশ নেয়া মানুষের তথ্য উপাত্ত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটি। গবেষণায় অংশ নেয়া মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: তাদের তাদের শারীরিক যন্ত্রণার পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা শুন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেলে সেই উত্তর বসানো হয়। যারা কখনো ধূমপান করেননি, তাদের চেয়ে বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীরা গড়ে ১ থেকে ২ পয়েন্ট বেশি পান, অর্থাৎ তাদের শারীরিক যন্ত্রণার হার অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি। অথবা বলা যায়, ধূমপান ছেড়ে দিলেও ভবিষ্যতে এই অভ্যাসের কারণে শারীরিক যন্ত্রণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গবেষকদের একজন ডক্টর ওলগা পারস্কি বিবিসিকে বলেন, \"গবেষণার প্রধান আবিষ্কার হলো, সাবেক ধূমপায়ীরাও অপেক্ষাকৃত বেশি শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করেন।\" \"কিন্তু এটি চিকিৎসাগত দিক থেকে অর্থবহ কি-না, সেটি এখনও নিশ্চিত না।\" আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসকের দৃষ্টিতে ধূমপান ছাড়ার ১০টি সহজ উপায় ধূমপান কমিয়ে লাভ নেই - ব্রিটেনে নতুন গবেষণা 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' ধূমপানের সাথে শারীরিক যন্ত্রণার সম্পর্ক কেন? ধূমপানের সাথে শারীরিক যন্ত্রণার কী সম্পর্ক সেবিষয়ে এখনো নিশ্চিত না বিজ্ঞানীরা। একটি ধারণা রয়েছে যে সিগারেটে যে কয়েক হাজার ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি টিস্যুর ক্ষতি করে - যার ফলে শরীরে ব্যাথা তৈরি হয়। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে শরীরের হরমোনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে ধূমপান। তবে এমন সম্ভাবনাও থাকতে পারে যে ধূমপান আসলে ব্যাথার কারণ নয়, উপসর্গ মাত্র। এরকম ধারণার কারণ হলো, বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিরা তীব্র ব্যাথা বোধ করেন বা তাদের ধূমপানের সম্ভাবনা বেশি - গবেষণায় এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। সুতরাং এমন হতেও পারে যে, যে ধরণের মানুষের ব্যাথার কথা প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি, সেই ধরণের মানুষের ধূমপায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গবেষক ডক্টর পারস্কি বলছেন শরীরে তীব্র ব্যাথা এবং পিঠে ব্যাথার সাথে ধূমপানের সম্পর্ক আছে, গবেষণা এর আগেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন গ্রুপ অ্যাশ'এর প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ আরনট বলেন, \"১৯৫০ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় যে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর গত কয়েকদশক যাবত হওয়া নানা গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় সব ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে ধূমপানের কারনে আরো খারাপ অবস্থা তৈরি হয়।\" \"ক্যান্সার, হৃদরোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ ছাড়াও অন্ধত্ব, বধিরতা, ডায়বেটিস, স্মৃতিভ্রম এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান। এছাড়া অপারেশন হওয়ার পর ধূমপায়ীরা সেরে উঠতে অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি সময় নেয়। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের অপারেশন সফল না হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।\"", "doc2": "Binciken da aka gudanar ya dogara ne da nazarin bayanai daga sama da mutane 220,000 wanda jami'ar UCL da ke birnin Landan ta gudanar. Masu binciken sun ce ba a san dalilin hakan ba amma kuma ba zai wuce nasaba da shan taba sigari ba da ke haifar da sauye-sauyen din-din-din a jikin dan adam. Wata kungiya mai yaki da shan taba sigari, Ash ta ce bai kamata binciken ya zo da mamaki ba saboda illolin taba sigari. Masana kimiyya suna nazari kan bayanan da aka tattaro daga kafafen sada zumunta a dakin binciken BBC tsakanin shekarar 2009 da 2013. An raba mutanen da aka yi nazarin a kansu zuwa kashi uku: An bukaci mutanen su fadi irin ciwon da suka kasance a ciki sannan aka mayar da abin da suka fada zuwa ma'auni daga 0 zuwa 100. Wadanda suke da maki mai yawa su ne suka kasance cikin tsananin ciwo. Masu shan taba sigarin da kuma wadanda suka daina sha sun fi jin ciwo kan wadanda basu taba shan tabar ba, kamar yadda binciken da aka wallafa a mujallar Addictive Behaviours ya nuna. Ma'ana dai shan taba sigari yana da alaka da ciwon da mutane masu shan taba ke ji a jikinsu ko da kuma masu shan sun bar dabi'ar. ''Babban abin da binciken ya gano shi ne wadanda suka daina shan taba har yanzu suna fuskantar ciwo'' a cewar daya daga cikin masu binciken a jami'ar UCL, Dakta Olga Perski. Ta kara da cewa ''mutanen da aka yi nazarinsu suna da yawa kuma zamu iya bugar kirji mu ce akwai abin da ke faruwa anan.'' ''Amma ba za mu iya cewa ko hakan na da wata ma'ana a asibiti ba.'' Dakta Perski ta ce wani abin mamaki da binciken ya gano shi ne irin tsananin ciwon da wadanda suke shan taba masu karancin shekaru tsakanin shekara 16 zuwa 34 suka fi ji a jikinsu. Me ke faruwa? Babu wani bayani kan abin da ya sa hakan ke faruwa. Wani ra'ayi da aka gabatar shi ne dayawa daga cikin dubunnan sinadaran da ke cikin hayakin taba na iya lalata naman jikin dan adam har tsawon rayuwarsa, abin da zai haifar da ciwo. Wani abin kuma shi ne shan taba sigari na iya haifar da illa ga tsarin kwayoyin halittar dan adam Wannan ya ta'allaka ne kan abin da mutane ke ji idan suna jin zafi. Sai dai akwai yiwuwar cewa shan taba sigari alama ce amma ba abin da ke haifar da tsananin ciwon ba. Misali, wasu bincike sun alakanta yanayin halayyar dan adam da yadda mutanen ke jin radadin zafi da kuma hadarin shan taba sigari. Za a iya cewa, mutumin da zai iya bayyana irin radadin da yake ji shi ne wanda ake iya ganin zai fara shan taba sigari. Dakta Perski ta bayyana cewa ''wannan wani abu ne da ya kamata a yi duba a kai.'' Sai dai ta kara da cewa binciken da suka yi na baya-bayan nan ya yi dai-dai da binciken da suka yi a baya wanda ya danganta shan taba sigari da matsanancin ciwo da kuma ciwon baya. ''Ko da ka daina shan taba sigari, dadewar da ka yi kana sha na iya haifar da ciwo, abu ne mai kyau mutum ya daina shan tabar tun kafin lokaci ya kure,'' kamar yadda Dakta Perski ta shaida wa BBC. Babbar jami'ar kungiyar da ke yaki da shan taba sigari ta Ash, Deborah Arnott ta ce ''an gano alamar da ke nuna shan taba sigari na haifar da ciwon huhu a shekarun 1950 kuma tun lokacin aka gano cewa shan taba sigarin na iya haifar da wasu cututtukan.'' ''Hakan ya hada da cutar daji da ciwon zuciya da matsalar numfashi da makanta da ciwon siga da mayar da mutum kurma da cutar mantuwa da rashin haihuwa. Masu shan taba sigari suna daukar tsawon lokaci kafin su warke daga tiyata kuma akwai yiwuwar sakamakon aikin da aka yi musu ya lalace. ''Don haka ba abin mamaki bane cewa masu shan taba sigari ma suna shan wahala fiye da wadanda ba u taba shan tabar ba.''"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55732606", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55736190", "doc1": "নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম দশ দিনেই তিনি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারির কাজ শুরু করছেন। এগুলো হল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে জারি করা নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এই তালিকায় সবার উপরে আছে দুটি বিষয়। এক- বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিলের বিষয়। তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরাপত্তা হুমকির কারণ দেখিয়ে প্রধানত যেসব মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, সেগুলো প্রত্যাহার। আর দ্বিতীয়টি হল প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবার যোগদান। এছাড়াও নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে যে বিষয়গুলোর দিকে তিনি অবিলম্বে নজর দিতে চান বলে জানা যাচ্ছে সেগুলো হল: করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবেলা আমেরিকানদের মাস্ক পরানো আমেরিকায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ লাখের বেশি মানুষ। এই মহামারি এবং দেশটিতে এর সূদুরপ্রসারী প্রভাব মোকাবেলা নতুন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় সবার উপরে থাকবে। মি. বাইডেন বলেছেন \"আমাদের প্রশাসনের জন্য এটা অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই\" এবং তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর সাথে সাথেই কোভিড মোকাবেলায় তার কৌশল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রথম একটি পদক্ষেপ হবে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত ভবনে এবং আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্বাহী আদেশ জারি করা। তবে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর যারা এতদিন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিরোধিতা করে এসেছেন, তারা যে হঠাৎ করে তাদের মনোভাব বদলাবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। আর সারা দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য আদেশ জারি করার কোন আইনগত পথ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় কার্যত দেয়া নেই। তবে প্রথম দিনে জারি করা নির্বাহী আদেশে তিনি ফেডারেল অফিসগুলোতে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন। মি. বাইডেন এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে এবং তিনি বলেছেন তিনি গর্ভনরদের মত বদলাতে রাজি করনোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবেন। কোভিড ১৯এর বিস্তার ঠেকাতে অনেক দোকানেই খদ্দেরদের মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে গভর্নররা যদি তার কথা না মানেন, তাহলে মেয়র এবং পৌর এলাকার কর্মকর্তাদের প্রতি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবার আহ্বান তিনি জানাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। তবে সেটা কীভাবে কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে কিছু এখনও বলা হয়নি। ১০০ দিনে ১০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা মি. বাইডেন টিকাদান প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চার করতে চান। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল তার ক্ষমতায় প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে দশ কোটি মানুষকে করোনার টিকার অন্তত প্রথম ডোজ দিয়ে দেয়া। টিকা কর্মসূচি দ্রুততার সাথে করার একটা পরিকল্পনা হল যত ভ্যাক্সিন তৈরি আছে তার একটা অংশ দ্বিতীয় ডোজের জন্য মজুত রাখার বদলে, পুরোটাই একসাথে ছেড়ে দেয়া। যাদের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে তাদের জন্য ব্যাজ দেয়ার প্রক্রিয়ায় চালু করা হয়েছে এছাড়াও দ্রুত কোভিড পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু ও তা উন্নত করতে, এবং জাতীয় স্তরে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, এবং পিপিই-র সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকর রাখার জন্যও তিনি নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু) আবার যোগদান আমেরিকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেবার প্রতিশ্রুতিও তার কার্যতালিকায় রয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাহী আদেশ এরই মধ্যে জারি করেছেন তিনি গ্রীষ্মে মি. ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার অভিযোগ ছিল চীনে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ার পর সংস্থাটি কোভিডের বিস্তার ঠেকাতে এবং সংস্থায় \"জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সংস্কার\" আনতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ভাড়াটে ও বাড়ির মালিকদের জন্য ছাড় মি. বাইডেনের প্রশাসনিক টিমের সদস্যরা বলেছেন বাসা ভাড়া না দিতে পারার জন্য ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ বা বাড়ি কেনার বন্ধকের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা মি. বাইডেনের রয়েছে। মহামারি শুরু হবার পর এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এছাড়াও সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের দেয়া ঋণের কিস্তি সুদসহ পরিশোধের প্রক্রিয়াও এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। সেটিও চালু রাখতে চান মি. বাইডেন। মি. বাইডেনের টিম আরও জানাচ্ছে \"শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক সুবিধা দেবার ব্যাপারেও অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের\" জন্য ক্যাবিনেট সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তিনি নির্দেশ দেবেন এমন পরিকল্পনা রয়েছে। ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার করোনাভাইরাস অর্থনীতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিপর্যস্ত আমেরিকান অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনের জন্য গত সপ্তাহে মি. বাইডেন ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন যে \"মানুষের দুঃসহ মাত্রার দুঃখকষ্ট যে একটা সংকটময় পরিস্থিতে পৌঁছেছে,তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে এবং এখন নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই\"। বাসা থেকে উচ্ছেদ বন্ধের পদক্ষেপ আরও দীর্ঘ সময় চালু রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ধর্মীয় নেতারা, ভাড়াটিয়া এবং বাড়ির মালিকরাও এই প্যাকেজ কংগ্রেস অনুমোদন করলে তা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে বলে মি. বাইডেন মনে করছেন। স্কুল নিরাপদে খোলার জন্যও এই প্যাকেজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। মি. বাইডেন তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে স্কুল আবার চালু করতে আগ্রহী। গত ডিসেম্বরে কংগ্রেস ৯০০বিলিয়ন ডলারের যে আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছিল এটা তার ওপর বাড়তি প্রণোদনা প্যাকেজ। রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা এই বিলের কিছু অংশের বিরোধিতা করতে পারেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ মহামারির প্রভাব সামাল দিতে আমেরিকা যে ঋণ নিয়েছে তার বোঝা এর ফলে আরও বাড়বে। পরিকল্পিত এই বিল পাশ হতে হলে মি. বাইডেনের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ এখন ডেমোক্র্যাটদের হাতে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ব্যবধানের। ট্রাম্পের কর সুবিধা বাতিল মি. বাইডেন তার অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় শুধু কোভিড মোকাবেলার জন্য অর্থ সহায়তার প্রস্তাবই রাখেননি। মি. ট্রাম্প যে কর ছাড় দিয়েছেন তা বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন। মি. ট্রাম্প তার ক্ষমতার প্রথম দিকে ২০১৭ সালে যে কর ছাড় অনুমোদন করেন, মি. বাইডেনের টিম বলছে সেটা শুধু ধনী আমেরিকানদের পকেট ভারী করেছে। ছোটখাট ব্যবসায়ীরা এই ছাড়ের সুবিধা মোটেও পাননি, এই সুবিধা ভোগ করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। মি. বাইডেন ব্যবসায়ে বিদেশ থেকে অর্জিত ওপরও কর বসানোর পরিকল্পনা দিয়েছেন। তার নতুন কর নীতিকেও কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে হবে। প্যারিস চুক্তিতে ফিরে যাওয়া মি. বাইডেন বলেছেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পর প্রথম দিনই তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকাকে আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই চুক্তিতে বিশ্ব নেতারা পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন, যেটা ছিল শিল্পায়নের আগের বিশ্বের তাপমাত্রা। তারা অঙ্গীকার করেছিলেন সম্ভব হলে তাপমাত্রা তারা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। মি. ট্রাম্প ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। আমেরিকা ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা বিশ্বের প্রথম দেশ। মি. বাইডেন বলেছেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য আমেরিকা তার উদ্যোগ আরও বাড়াবে এবং প্রেসিডেন্ট পদে তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে তিনি বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। তিনি বলেছেন ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকার কার্বন নিঃসরণের মাত্রা যাতে শূণ্যে নামিয়ে আনা যায় তার জন্য এবছরই তিনি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবেন। কিস্টোন এক্সএল নামে তেল ও গ্যাস পাইপলাইন বসানোর এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবার জন্য ২০১৭ সালে একটি নির্বাহী আদেশে মি. ট্রাম্প সই করার পর বিরোধীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন গত কয়েক বছর ধরে অন্য পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা কানাডার আলবার্টা প্রদেশ থেকে মনটানা আর সাউথ ডাকোটার মধ্যে দিয়ে টেক্সাস পর্যন্ত তেলের পাইপলাইন বসানোর এক বিতর্কিত প্রকল্পও তিনি ক্ষমতা হাতে নেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বাতিল করে দেবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিস্টোন এক্সএল নামে তেল ও গ্যাস পাইপলাইন বসানোর এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবার জন্য ২০১৭ সালে একটি নির্বাহী আদেশে মি. ট্রাম্প সই করার পর থেকে বিরোধীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছেন গত কয়েক বছর ধরে। যানবাহনের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শিথিল করে ট্রাম্প প্রশাসন যে আইন পাশ করেছিল সেটি নিয়েও নতুন করে চিন্তাভাবনার কথা বলেছেন মি. বাইডেন। তিনি বলেছেন গাড়ি ও ভারী যানবাহনের কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে শিগগিরি কঠোর বিধিনিষেধ আনা হবে। তেল ও গ্যাস থেকে মিথেন দূষণের মাত্রা নিয়ে মি. বাইডেন প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা করছে এবং তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র ইজারা দেবার ব্যাপারেও নীতির পরিবর্তন তার প্রশাসন আনতে যাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য খনন বন্ধের দাবিও রয়েছে বহুদিন ধরে অভিবাসন নীতি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল জানুয়ারি ২০১৭য় ক্ষমতা গ্রহণ করার মাত্র সাতদিনের মাথায় মি. ট্রাম্প কিছু দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মি. ট্রাম্পের যেসব নীতি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমেই বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। সাতটি মূলত মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, পরে আদালতে এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলার পর তালিকায় কিছু রদবদল করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা এবং উত্তর কোরিয়া। নাগরিকত্ব প্রদান অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে মি. বাইডেনের আরেকটি বড় প্রতিশ্রুতি হল তিনি দায়িত্ব নেবার পর প্রথম দিকেই কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করবেন, যার মাধ্যমে নথিবিহীন এক কোটি দশ লাখের ওপর অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেবার পথ প্রশস্ত হবে। বহু শিশু অভিবাসী তাদের বাবা মায়েদের থেকে আলাদা হয়ে শিবিরে কঠিন জীবন যাপন করছে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে মি. বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে যে ৫৪৫ জন অভিবাসী শিশু তাদের বাবা-মায়েদের থেকে আলাদা হয়ে গেছে তাদের একত্র করার জন্য তিনি একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করবেন। সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ রদ মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের আরেকটি বহুল আলোচিত প্রকল্প - আমেরিকা আর মেক্সিকোর মাঝখানে দেয়াল তোলা- সেই নির্মাণ কাজও বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মি. বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বলেছেন এই প্রকল্প \"অর্থের অপচয়\" এবং \"যেখানে প্রকৃত হুমকি মোকাবেলায় অর্থের প্রয়োজন এই প্রকল্পের কারণে সেসব ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না\"। শপথ নেয়ার পরপরই জারি করা নির্বাহী আদেশে তিনি এই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসন বলেছে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের বদলে অভিবাসনের বৈধতা যাচাইয়ের কর্মসূচি গড়ে তোলার জন্য তারা কেন্দ্রীয় তহবিল বরাদ্দ করতে আগ্রহী। আমেরিকা ও মেক্সিকোর মধ্যে সীমান্ত দেয়ালের একটি অংশে স্বাক্ষর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদ ও ফৌজদারি বিচারে সংস্কার কোভিড, অর্থনীতি এবং জলবায়ুর পর চতুর্থ স্থানে রয়েছে বর্ণবাদের সমস্যা। মি. বাইডেন বলেছেন তিনি দ্রুত এই সমস্যা মোকাবেলার কাজ শুরু করবেন। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবাসহ যেসব ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্য প্রকট সেসব ক্ষেত্রকে তিনি অগ্রাধিকার দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রথম ১০০ কার্যদিবসের মধ্যে মি. বাইডেন পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি পুলিশের কার্যকলাপের ওপর নজরদারির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি সংস্থা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এলজিবিটি সুরক্ষা এলজিবিটি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন মি. বাইডেন। তিনি বলেছেন হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে তিনি তহবিল বরাদ্দ করবেন। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তিনি প্রত্যাহার করবেন এবং স্কুলে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধে নির্দেশাবলী জারি করবেন। এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশও তিনি এই মধ্যে জারি করেছেন। আমেরিকান মিত্রদের প্রতি আশ্বাস নতুন প্রেসিডেন্ট বলেছেন আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর সাথে তিনি দ্রুত যোগাযোগ করবেন, বিশেষ করে যাদের সাথে গতকয়েক বছরে আমেরিকার সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এবং \"আমেরিকা তাদের পেছনে রয়েছে\" এই প্রতিশ্রুতি তাদের দেবেন। মি. বাইডেন বলেছেন আমেরিকা \" আবার বিশ্বে নেতৃত্ব দেবার জন্য যে তৈরি সেটা তাকে প্রমাণ করতে হবে, শুধু ক্ষমতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নয়, বরং দৃষ্টান্ত দিয়ে ক্ষমতাকে প্রমাণ করতে হবে।\" তিনি বলেছেন ওভাল অফিসে তার প্রথম কার্যদিবসে তিনি নেটো জোটের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং এই বার্তা দেবেন যে \"আমরা আবার ফিরে এসেছি এবং আমাদের ওপর আবার আপনারা ভরসা রাখতে পারেন।\" মি. ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট নন, যিনি নেটোর অন্যান্য সদস্য দেশকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ ব্যয়ের জন্য চাপ দিয়েছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে বারবার নেটোকে হুমকি দিয়েছেন অন্য সদস্যরা যথেষ্ট অর্থ না দিলে আমেরিকা এই জোট থেকে বেরিয়ে যাবে। মি. বাইডেন এখন সেই ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ", "doc2": "Zai shafe kusan kwanaki goma yana dokoki na musamman da ƙarfin shugaban ƙasa ya ba sa iko. Irin waɗannan dokokin ba su buƙatar amincewar majalisar tarayya. Cikin manyan abubuwan da ke cikin jerin abubuwan da Biden ɗin zai mayar da hankali akwai batun haramcin da gwamnatin Trump ya saka wa wasu ƙasashen Musulmi na shiga Amurka inda Shugaba Trump ya ce ƙasashen barazana ne ga tsaron Amurka. Haka kuma Mista Biden ɗin zai mayar da hankali kan batun yarejejeniyar sauyin yanayi ta Paris. Ga sauran abubuwan da ake sa ran Biden ɗin zai mayar da hankali a kansu bayan an rantsar da shi. Yaƙi da annobar korona Matakin saka takunkumi a Amurka Annobar korona ta kashe sama da mutum 400,000 a Amurka - ana sa rai cewa annobar korona da kuma tasirinta ne muhimmin abin da gwamnatin Biden za ta mayar da hankali a kai. Mista Biden ya ce annobar ce \"yaƙi mai muhimmanci da gwamnatinmu zai ta fuskanta\" kuma shugaban ya yi alƙwarin aiwatar da sabon tsarinsa na yaƙi da korona nan take. Ɗaya daga cikin matakan nasa akwai batun saka takunkumi a duk wani wuri mallakar gwamnatin tarayya haka kuma a duk lokacin da ake tafiye-tafiye tsakanin jihohi. Sai dai har yanzu babu wani tabbaci kan cewa gwamnonin jihohin Amurka waɗanda akasarinsu ke sukar matakin saka takunkumi za su sauya ra'ayinsu kan lamarin - haka kuma babu wata doka da ta bai wa shugaban ƙasa ikon tilasta saka takunkumi a duka ƙasa. Da alama Mista Biden ya gane hakan inda ya bayyana cewa da kansa zai yi ƙoƙari wajen ganin cewa ya shawo kan gwamnoni kan wannan lamari. Idan gwamnonin ba su amince ba, ya sha alwashin zai yi kira ga magaddai da jami'an birane su rungumi wannan tsarin nasa. Babu tabbaci har yanzu kan yadda za a aiwatar da wannan tsari. Rigakafi miliyan 100 a kwana 100 Mista Biden na so ya gaggauta yin riga-kafi a Amurka inda yake da burin tabbatar da cewa an yi wa mutum miliyan 100 a cikin kwana 100 na farko da zai yi kan mulki. Ɗaya daga cikin hanyoyin gaggauta yin riga-kafin ita ce ta fitar da duka riga-kafin da ake da su domin yi wa mutane a maimakon ajiye su ga waɗanda za a yi wa karo na biyu. Ana kuma sa ran cewa shugaban zai ɗauki matakin gaggawa na tabbatar da cewa an samar da hanyoyin gwajin korona cikin sauri da kuma samar da kayayyakin aiki da magunguna da kuma kayayyakin kariya. Sake shiga Hukumar Lafiya Ta Duniya, WHO Daga cikin abubuwan da ake tunanin Biden zai yi, akwai batun sauya matakin da Amurka ta ɗauka a baya na barin Hukumar Lafiya Ta Duniya. Mista Trump ya bayyana shirye-shiryen ficewa daga ƙungiyar ne a kwanakin baya inda yake zargin WHO ɗin da gazawa wurin daƙile korona bayan ɓullarta daga China Dokoki na musamman da zai aiwatar - Ga wasu daga cikin sabbin dokokin da ake tunanin Biden zai aiwatar da zarar ya shiga ofis Matakan tattalin arziƙi Sauƙaƙa wa ƴan haya da masu gidaje Kwamitin kamfe na Mista Biden ya bayyana cewa akwai shirye-shiryen da gwamnatin ke yi na tsawaita lokaci ga ƴan haya da ke gidajen haya da waɗanda ake bi basussuka - haka kuma da batun dakatar da biyan bashin da ɗaliban tarayya suke yi. Kwamitin karɓar mulki na Biden ya shaida cewa Biden ɗin na ƙoƙarin fitar da shiri na musamman inda zai ba wasu ma'aikatu umarnin bayar da kayan agaji ga iyalai da ke aiki a ƙasar, sai dai babu wani ƙarin bayani kan irin abubuwan da za a bayar. Tiriliyan $1.9 ga tattalin arziƙin Amurka A makon da ya gabata ne Mista Biden ya sanar da cewa za a fitar da tiriliyan $1.9 domin bayar da tallafi ga mutanen ƙasar sakamakon irin raunin da annobar korona ta yi wa tattalin arziƙin ƙasar. Idan majalisar tarayya suka amince da wannan kuɗin, hakan zai haɗa da biyan dala 1,400 ga kowa a Amurka. Haka kuma shugaban ya yi tsarin bai wa makarantu tallafin kudi domin su sake buɗewa ba tare da wata matsala ba, haka kuma yana so makarantun su buɗe a cikin kwanaki 100 bayan kama aiki. Hakan zai zama ƙari ga dala biliyan 900 na kuɗin tallafi da majalisar ta amince a Disamban bara. Da wuya ƴan majalisa daga Jam'iyyar Republican su ƙi amincewa da kudirin, wanda hakan zai zama ƙari ga bashin da Amurka ta kashe a yaƙi da annobar korona, haka kuma Mista Biden zai buƙaci duka jam'iyyun biyu su haɗa kansu. A yanzu dai ƴan Democrats su ke da iko da duka majalisun biyu, amma da tazara kaɗan. Kawo ƙarshen sabbin dokokin harajin da Trump ya sa Ba bayar da tallafin Trump ne kawai abin da sabon shugaban ya sa a gaba ba. Ya yi alƙawarin soke sauye-sauyen da Mista Trump ya yi a dokokin haraji. Mista TRump ya yi sauyin ne a 2017, a farkon shugabancinsa kuma Biden ya ce ba a yi adalci ba musamman ga ƙananan masana'antu. Haka kuma Biden ya ce zai ruɓanya harajojin da kamfanonin Amurka su ke biya kan ribar da suka samu daga ƙasashen waje. Amma fa wannan ƙudirin nasa zai bi ta hannun majalisa tukuna. Muhalli da Sauyin Yanayi Zai mayar da Amurka Yarjejeniyar Paris Wani abu da Mista Biden ya ce zai yi a ranarsa ta farko a mulki shi ne komawa yarjejeniyar Paris ta sauyin yanayi, wata yarjejeniya da ta ƙunshi tabbatar da tsare yanayi ƙasa da 2.0c. Trump ya janye Amurka ne daga yarjejeniyar a 2015, inda ta zama ƙasa ta farko da ta yi haka. Mista Biden ya ce yana so ya yi aiki da majalisar dokokin ƙasar wajen sa dokar da za ta bai wa Amurka damar rage fitar da gurɓatacciyar iska zuwa shekarar2050. Soke dokokin sauyin yanayi Wani abu kuma da sabon shugaban ya ce zai yi shi ne soke wasu manufofin sauyin yanayi da Trump ya kafa. Mista Biden ya ce zai tattauana sosai kan gurɓatacciyar iskar da motoci ke fitarwa da tsare kashi 30% na kasa da ruwan ƙasar zuwa 2010, sannna zai rufe filin Arctic National Wildlife Refuge da ake haƙar mai. Sabuwar gwamnatin ta ce a shirye ta ke ta taƙaita fitar da iskar methane a yayin sarrafa man fetur da iskar gas. Manufofin Ci Rani Soke dokar shiga ƙasar Dokar da Mista TRump ya sa kwana bakawai bayan hawansa mulki a 2017 ta hana ƴan wasu ƙasar shiga Amurka na ɗaya daga cikin dokokin da Biden zai soke. Da farko dokar haramcin ta shafi wasu ƙasashen Musulmi bakwai ne amma daga baya an yi sauye-sauye bayan da kotu ta sa baki a maganar. A yanzu kasashen Iran da Libya da Somalia da Syriya da Yemen da Venezuela da Koriya ta Arewa ne ke ƙarƙashin dokar haramcin. Za a sauƙaƙa wa 'yan gudun hijira zama ƴan ƙasa Wani babban alƙawari da Mista Biden ya ɗauka shi ne na gaggauta aikewa majalisa ƙudirin doka da za ta bai wa 'yan gudun hijira sama da miliyan 11 da ke zaune a ƙasar damar zama ƴan Amurka. A lokacin yaƙin neman zaɓensa, Mista Biden ya ce zai kafa da kwamitin da zai haɗa yara ƴan ci rani 545 da aka raba da iayyensu a iyakar Amurka. A watan Disamba, tawagar Biden ta ce za ta buƙaci lokaci don ta soke ɗaya daga cikin manufofin Mista Trump mai suna Migrant Protection Protocols da ta tursasa wa dubban masu neman mafaka a ƙasar su jira a Mexico kafin kotuna a Amurka su saurari kokensu. Jami'ai sun ce wannan na iya ɗaukar wata shida. Kawo ƙarshen gina katanga Mista Biden ya yi alƙawarin tsayar da ginin katangar da Mista Trump ke alfahari da ita - katangar da ya fara ginawa tsakanin Amurka da Mexico. Kamfe din Biden ya kira wannan gini \"ɓarnar kuɗi\". Ya kuma ce maimakon ɓatar da kuɗin da a ke yi a katangar, za a yi amfani da kuɗin wajen tsaurara matakan tantancewa a iyakokin ƙasar. Kawo sauye-sauye a batutuwan wariyar launin fata da shari'a Baya ga batutuwan cutar korona da tattalin arziƙi da sauyin yanayi - Mista Biden ya ce dole ne ya duba batun wariyar launin fata. Ya yi alƙawarin kafa rundunar da za ta taimaka wajen kawo sauyi a rundunar 'yan sandan ƙasar a kwanaki 100 na farko. Kare auren jinsi ɗaya Ya yi alƙawarin taimakawa masu auren jinsi ɗaya da mutanen da suka sauya jinsi ta hanyar zuba kuɗi a ɓangarorin da ke kare waɗannan rukuni na mutane daga cin zarafi. Sannan ya ce zai kawo ƙarshen haramcin da aka ɗora wa mutanen da suka sauya jinsi na shiga aikin soja da dawo da hanyoyin wayar wa da yara kai kan batutuwan sauya jinsi a makarantu. Ya kuma ce zai sa hannu kan dokar daidaito wadda za ta bai wa 'yan maɗigo da 'ya luwaɗi damramaki. Kwantarwa da ƙawayen Amurka hankali Sabon shugaban ya ce yana da shirin sasantawa da ƙawayen Amurka da aka samu rashin jituwa da su kuma ya yi alƙawarin \"Amurka na nan tare da su\", inda ya ce dole ne Amurkar ta \"nuna wa duniya a shirye ta ke ta sake jagorantar duniya kuma ta zama misali ga sauran ƙasashe\". Ya ce a ranarsa ta farko a babban ofishin shugaban ƙasa ko Oval Office, zai aika sako ga ƙawayen ƙasar na NATO cewar |mun dawo kuma muna nan tare da ku\". Duk da cewa ba Mista TRump ne shugaban ƙasa na farko da ya matsawa 'yan ƙungiyar NATO lamba ba wajen ƙara kasafin kuɗi a kan tsaro, ya yi masu barazana a wasu lokuta da cewar zai janye daga gamayyar."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47956790", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-47977208", "doc1": "ঘুম নিয়ে প্রচলিত নানা ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন গবেষকরা। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, রাতে ভাল ঘুমের ব্যাপারে সর্বাধিক প্রচলিত ধারণা বা দাবিগুলো ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করে। তারপর তারা সেই দাবিগুলোকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের সাথে মেলান এবং স্লিপ হেলথ জার্নালে সেই গবেষণা প্রকাশিত হয়। তারা আশা করেন যে ঘুম নিয়ে মানুষের এমন পুরনো ধারণা বা বিশ্বাসগুলো দূর করার ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি হবে। এখন আপনাদের মধ্যে কতজন এ ধরণের ধারণায় বিশ্বাস করার জন্য আফসোস করবেন? আরও পড়তে পারেন: কম ঘুমে আয়ু কমে: রাতের ভালো ঘুম যেভাবে পাবেন দিনের বেলার একটু ঘুম যেভাবে সুস্থ রাখতে পারে ঘুম থেকে দেরিতে উঠলে কী ঘটে? অফিসের একটা সময়ে কিছুক্ষণের ঘুম কাজের গতি বাড়াতে পারে। ১. পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমিয়ে আপনি নিজেকে সামলাতে পারবেন এটা এমনই এক ধারণা যেটা কখনোই যাবেনা। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল দাবি করেছেন যে প্রতিরাতে চার ঘণ্টারও কম ঘুমিয়ে তিনি একটি সপ্তাহ কাটিয়ে দিতে পারেন। ব্যবসা বা উদ্যোক্তা পর্যায়ে সাফল্যের পেছনে অফিসের অতিরিক্ত সময়ে বিছানায় ঘণ্টা-খানেক ঘুমিয়ে নেয়ার যে একটা প্রভাব রয়েছে সেটা কমবেশি সবারই জানা। তবুও গবেষকরা বলেছেন যে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমানোকে স্বাস্থ্যকর বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে সেটা বরং স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। গবেষক ড. রেবেকা রবিন্স বলেন, \"দিনের পর দিন পাঁচ ঘণ্টা বা তারও কম সময় ঘুমানো যে স্বাস্থ্যের ভয়াবহ পরিণতির ঝুঁকি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, তার ব্যাপক প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।\" এর মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্র জনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি, যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া। তাই, তিনি সুপারিশ করেন যে, সবার প্রতিরাতে একনাগাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমের লক্ষ্য রাখা উচিত। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন না: বিএনপি মানুষের দ্রুত রাগের পেছনে রহস্য কী? ভারতে ভোটের প্রচারে তারকা ফেরদৌস, ক্ষুব্ধ বিজেপি শব-ই-বরাত পালিত হবে ২১শে এপ্রিলেই মদ খাওয়া ঘুমের জন্য উপকারি, এমনও ধারণা প্রচলিত আছে অনেক মাঝে। ২. বিছানা যাওয়ার আগে মদ পান করলে ঘুম ভালো হয় শরীর মন শিথিল করার এই উপায়টি পুরোপুরি বানোয়াট। গবেষক দলটি বলছে, সেটা এক গ্লাস ওয়াইন হোক, ড্রামভর্তি হুইস্কি হোক বা এক বোতল বিয়ার। \"এটি মূলত আপনার ঘুমের প্রাথমিক পর্যায়, অর্থাৎ যে সময়ে চোখের দ্রুত নড়াচড়া কমে আসতে থাকে সেই স্তরটিকে বাধা দেয়। ঘুমের এই পর্যায়টি স্মৃতিশক্তি ও শেখার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।\" তাই হ্যাঁ, মদ খাওয়ার পর আপনার হয়তো ঘুম ভাল হবে বা খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়বেন। তবে ঘুমের কারণে যে উপকারগুলো পাওয়ার কথা সেগুলো আর পাবেননা। অ্যালকোহল হল মূত্রবর্ধক পানীয়, তাই আপনাকে হয়তো মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে বারবার টয়লেটে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। অনেকে ঘুম না এলে বিছানায় শুয়ে টিভি দেখেন। ৩. বিছানায় শুয়ে টিভি দেখা আপনাকে শিথিল করতে সাহায্য করে আপনি কি কখনও ভেবেছেন \" বিছানায় যাওয়ার আগে আমার একটু শিথিল হওয়া দরকার, আমি কি তাহলে কিছুক্ষণ টিভি দেখবো?\" বিষয় হল, এই রাত করে টিভি দেখা আপনার ঘুমের জন্য খারাপ হতে পারে। ডাঃ রবিনস যুক্তি দেন: \" আমরা যদি টেলিভিশন দেখে থাকি, তাহলে প্রায়ই রাতের খবরগুলো দেখা হয়। এতে করে আপনি মানসিক চাপ সেইসঙ্গে অনিদ্রা রোগ বা ইনসোমনিয়ায় ভুগতে পারেন। যে সময় আপনার শরীর-মন শিথিল রাখার কথা সেই সময়ে অর্থাৎ বিছানায় শুতে যাওয়া থাকার আগে আপনাকে অনিদ্রা বা চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। গেম অব থ্রোনসের উদাহরণ দিতে গেলে কেউ যুক্তি দিতে পারবেনা যে, রেড ওয়েডিং পর্বটি শিথিল করার মতো ছিল। টিভির পাশাপাশি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে - এই ডিভাইসগুলো থেকে যে নীল আলো বের হয় সেটা শরীরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনকে বিলম্বিত করতে পারে। এক নারী আই মাস্ক পরে ঘুমাচ্ছেন। ৪. ঘুমানোর অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও যদি ঘুম না আসে তাও বিছানায় পড়ে থাকুন আপনি ঘুমানোর চেষ্টায় অনেক সময় নষ্ট করেছেন। এমনকি সারা নিউজিল্যান্ডের দুই কোটি ৮০ লাখ ভেড়ার সবকটি হয়তো আপনি গুনে শেষ করে ফেলেছেন। তাহলে আপনার পরবর্তীতে কি করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর হল, ঘুমের জন্য এতো চেষ্টা বন্ধ রাখতে হবে। \"আমরা অনিদ্রার সঙ্গে আমাদের বিছানার যাওয়ার বিষয়টিকে সংযুক্ত করলাম।\" ডাঃ রবিনস বলেন। \"একজন সুস্থ মানুষের বিছানায় যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসে। তবে ঘুম আসতে এর চেয়ে বেশি সময় লাগলে, অবশ্যই বিছানা ছেড়ে দিতে হবে। এরপর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। এমন কাজ করতে হবে যেখানে মস্তিষ্কের তেমন কিছু ভাবতে হবেনা। যেমন, মোজা ভাজ করা।\" আমরা অনেকেই অ্যালার্ম বাজার পর বার বার স্নুজ টাইম সেট করে রাখি। ৫. বারবার স্নুজ বোতামে চাপ দেয়া অনেকেই তাদের ফোনে একাধিক সময়ে স্নুজ টাইমার সেট করাটাকেই স্বাভাবিক মনে করেন। এটা ভেবে যে বিছানায় অতিরিক্ত ছয় মিনিটেই বুঝি বিশাল কোন পার্থক্য হবে। কিন্তু গবেষক দল বলেছেন যে যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে যায়, তখনই আমাদের উঠে যাওয়া উচিত। ডাঃ রবিনস বলেছেন: \"এতে আপনার মতো সবাই কিছুটা আধো ঘুম আধো জাগা অবস্থায় থাকলেও তারা স্নুজ করার প্রলোভনকে প্রতিরোধ করতে পারবে। \"প্রথম অ্যালার্ম বাজার পর স্নুজ দিয়ে আপনার শরীর হয়তো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। তবে সেই ঘুম হবে অনেক নিম্নমানের পাতলা ঘুম।\" তাই এ ধরণের উপায় আর পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে অ্যালার্ম থামার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের পর্দা খুলে দিন, এবং যতটা সম্ভব নিজেকে উজ্জ্বল আলোর সামনে রাখুন। নাক ডাকাও অনেক সময় চিন্তার কারণ হতে পারে। ৬. নাক ডাকায় কোন ক্ষতি নেই নাক ডাকা হয়তো ক্ষতিকারক নাও হতে পারে, তবে এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। এই রোগের কারণে আমাদের গলায় যে দেয়াল আছে সেটা ঘুমের সময় শিথিল এবং সংকীর্ণ হয়ে যায়। যার কারণে মানুষ অল্প সময়ের জন্য শ্বাস নিতে পারেনা। এ ধরণের মানুষেরা উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এমনকি হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকে। তবে এই নাক ডাকা যদি খুব জোরে হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে। ডাঃ রবিনস পরিশেষ বলেছেন: \"আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের মেজাজ, আমাদের ভালো থাকা এবং আমাদের দীর্ঘায়ুর উন্নয়নে আজকের রাত থেকে আপনি যা করতে পারেন তার মধ্যে ঘুম হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি।\"", "doc2": "Wani rukunin masu bincike daga Jami'ar New York sun bincika shafukan intanet domin gano nau'ukan ikirarin camfi game da jin dadin bacci. Sannan a wata makala da aka wallafa a Mujallar Lafiyar Bacci (Sleep Health) an kwatanta irin nau'ukan ikirarin camfin da managartan hujjojin kimiyya. An yi su ne da zimmar ganin cewa yin watsi da camfe-camfen zai inganta lafiyar jiki da tunanin mutane. Shin, ko nau'uka nawa ne kuka damfaru da su? Camfi na farko - Za ku iya rayuwar baccin kasa da sa'o'i biyar Wannan camfi ne da ba za a kawar da shi kawai kai tsaye ba. Shugabar Jamus Angela Merkel ta yi ikirarin cewa tana iya shafe mako a kowane dare tana yin baccin sa'o'i hudu. Rage yawan sa'o'in bacci da daddare, na sa a yi bacci a ofis (wurin aiki), ba kuma sabon al'amari ba ne a tsakanin 'yan kasuwa ko hamshakan masu kafa masana'antu. Duk da haka masu binciken sun ce yarda da yin baccin kasa da sa'o'i biyar na bayar da karin koshin lafiya, sabanin haka ma shi ne mafi munin camfin da ke cutar da lafiyar jiki. \"Muna da dimbin hujjoji da ke nuna cewa bacci sa'o'i biyar ko kasa da haka na tattare da mummunan hadarin illata lafiya,\" a cewar jami'ar bincike Dokta Rebecca Robbins. Irin nau'ukan cututtukan da yin hakan ke haifarwa, sun hada da cututtukan zuciya, kamar bugun zuciya da rashin tsawon rai. Sabanin hakan, ta bayar da shawarar ganin kowa ya yi kokarin yin bacci sa'o'i bakwai ko takwas akai-akai kowane dare. Camfi na biyu - Shan barasa kafin bacci na kyautata dadin bacci Kwankwadar abin sha mai zafi (kayan maye ko shayin gahawa) kafin kwanciya bacci na cikin camfi a cewar rukunin masu binciken, ko da kofin barasa ne ko giya mai zafi nau'in whisky ko kwalbar giya. \"Zai iya taimakawa bacci ya dauke ku, amma zai yi matukar rage jin dadin hutunku a wannan daren,\" a cewar Dokta Robbins. Yin hakan na iya hargitsa hanzarin motsin ido (REM) a yayin bacci, al'amarin da ke da muhimanci ga tunanin kwakwalwa da koyon karatu. E, a hakan za ku iya yin barci, ta yiwu ma ku yi girgiza da yawa cikin sauki, amma wasu daga alfanun bacci an rasa su. Barasa na sanya fitsari, don haka za ku yi fama da ta shi tsakar dare don yin fitsari Camfi na 3 - kallon talabijin lokacin kwanciya na taimakawa wajen samun hutu Kun taba yin tunanin cewa \"ina bukatar shakatawa kafin in yi bacci, to bari in kalli wasu shirye-shiryen talabijin? E, to ta yiwu kallon talabijin cikin dare na iya cutar da baccinku. Dokta Robbins ta bayyana cewa: \"In muna yawan kallon talabijin ko da labaran dare ne, wannan lamari ne da ke iya haifar da cutar kasa yin bacci ko damuwa kafin bacci, a lokacin da muke kokarin kwantawa mu huta. Dangane da fim din fafutikar karagar mulki na Game of Thones, zai yi wuya a ce bikin kawa mai kayatarwa na sanya nishadin hutu. Wani al'amari da ke tattare da talabijin da wayoyin hannu na alfarma da kananan na'urorin sadarwa, shi ne suna fitar da shudin haske, wanda ke takurewa ya dakile sinadaran barci na 'melatonin' da jiki ke fitarwa. Camfi na hudu - Idan bacci ya ki zuwa, ku ci gaba da kwanciya kan gado Ku shafe tsawon lokaci kuna kokarin yin bacci, har ku kokarta wajen kidaya yawan tumakin da ke kasar New Zealand - wato kimanin su miliyan 28 kenan. Ko mene ne ya kamata ku yi? Amsar ita ce ku daina kokarin yin haka. \"Mun fara alakanta gadon kwanciyarmu da cutar rashin yin bacci,\" inji Dokta Robbins. \"Lafiyayyen bacci ba ya daukar kimanin mintuna 15 kafin a yi shi, lallai a tabbata an tashi daga kan gadon, a sauya wani makwancin, tare da yin abin da zai kawar da damuwa.\" Camfi na 5 - Tsawaita karaurawar tashi bacci Wane ne bai taba kara lokaci ba bayan wayarsa ta buga masa karaurawa da tunanin cewa karin mintuna shida a kwance na iya kawo sauyin al'amura? Sai dai rukunin masu bincike ya nuna cewa lokacin da karaurawar tashi bacci ta buga to kawai za mu farka ne. Dokta Robbins ta ce: \"Sanin cewa za ka kasance cikin gajiya - daukacinmu kan jajirce don kin yin barci \"Jikinku zai koma bacci, amma zai yi mara nauyi, wanda ba zai dauki lokaci ana yinsa ba.\" Sabanin haka shawarar da ake bayarwa ita ce a bar labulen kofa bude, ku bar kanku cikin haske matuka. Camfi na 6 - Munshari ba shi da illa Munshari na iya kasancewa tattare da illa, har ma yana iya kasancewa wata alamar illa da ke tattare da baccin, kamar daukewar numfashi (apnoea.) Wannan na sanyawa kwarkwaron makwoshi ya yi hutun motsin aiki (daina motsi) ya tsuke a lokacin bacci, sannan numfashin mutane na iya tsagaitawa na wani takaitaccen lokaci. Mutanen da ke tattare da irin wannan yanayin akwai yiwuwar su kamu da hawan jini, da bugun zuciya mara kai, tare da farmakin bugawar zuciya ko ma shanyewar jiki. Daya daga cikin alamun ankararwar gargadi shi ne munshari da karfi. Dokta Robbins ta karkare cewa: \"Barci na daga cikin al'amura mafi muhimmanci da za mu iya yi a kowane dare don inganta lafiyarmu, da yanayinmu da lumanar jiki don samun tsawon rai.''"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-40107805", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-40106218", "doc1": "প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই ছবিটি ফেসবুকে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ভেরিফাইড ফেসবুক পাতায় দেখা যাচ্ছে তিনি একটা পোশাক পরেছেন যেটাতে তাঁর পা দেখা যাচ্ছে। ছবিটি নিজের ফেসবুক পাতায় পোষ্ট করে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যস্ততম বার্লিন সফরের মধ্যে তাঁকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এদিকে ফেসবুকে তাঁর ঐ পোশাক পরে মি. মোদীর সাথে দেখা করতে যাওয়াকে 'অসম্মানজনক' বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে। আভানি বরকার নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন \" হতে পারো তুমি একজন আন্তর্জাতিক তারকা কিন্তু দয়া করে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাও। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখো কিভাবে তুমি তাঁর সামনে বসে আছো\" পরে তিনি মায়ের সাথে এই ছবিটি পোষ্ট করেন শিরিশ মোরেশওয়ার পানওয়াকার নামে একজন লিখেছেন \"তুমি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনে বসে ছিলে, তোমার অন্তত পা ঢেকে রাখা উচিত ছিল\"। এদিকে যে প্রিয়াঙ্কার পোশাক নিয়ে এত সমালোচনা সেই প্রিয়াঙ্কা এসবের তোয়াক্কা না করে তাঁর মায়ের সাথে আরেকটি ছবি পোষ্ট করেন আর লেখেন \"Legs for the day\". প্রিয়াঙ্কা অভিনীত হলিউডের 'বেওয়াচ' সিনেমাটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। আর মার্কিন টিভি সিরিয়াল 'কোয়ানটিকো' তে মুল চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তবে বলিউডের অভিনেত্রীদের পোশাক নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। এর আগে দীপিকা পাদুকোনের পোশাক নিয়ে ভারতের একটি প্রথম সারির সংবাদপত্র খবর বের করেছিল।", "doc2": "Misis Chopra ta wallafa wannan hoton a shafin Facebook Wasu masu amfani da shafukan Facebook sun shaida mata cewa hakan nuna rashin girmamawa ne ga Firai Ministan. Jarumar ba ta nuna nadamar yin hakan ba, inda ta saka wani hotonta tare da mahaifiyarta sanye da guntuwar riga, mai taken, \"legs for the day,\" wato \"kafafun wannan rana. Dama dai wasu taurarin fina-finan Indiyan ma na fuskantar suka daga wajen jama'a kan yanayin sa tufafinsu. A shekarar 2014 ma, wata jarida a Indiya ta bayyana Deepika Padukone ta saka wani hotonta inda ake iya ganin mamanta a shafinta na Tweeter. Padukone ta yi wa jaridar martani a shafinta na Tweeter. inda ta ce, \"Eh! Ni mace ce, ina da mama! Ko akwai matsala ne?\" Kuma jarumai da dama sun fito sun nuna mata goyon bayansu. An fara ce-ce-kucen a kan Priyanka Chopra ne, bayan da wani gidan talbijin ya sanya wani hotonta tare da Mista Modi, tana mika masa godiyarta, a kan ganawar da ya yi da ita a Berlin na kasar Jamus, \"Duk da yawan ayyukansa amma ya sadaukar da lokacinsa,\" in ji Priyanka. Ko da yake ba a dauki lokaci mai tsawo ba, kafin shigar tata ta zama wani batu da ake ce-ce-kuce a a kansa, inda mutane da yawa ke sharhi cewa hakan da ta yi cin mutunci ne ga Mista Modi suna da kuma magoya bayansa. Ga wasu daga cikin masu sukar a shafukan sa da zumunta: Da farko dai kamar Misis Chopra ba ta yi niyyar mayar wa mutane martani ba, sai dai daga baya ta shammace su a shafinta na Instagram inda har ta sanya hotonta da na mahaifiyarta, kuma tabbas kafarta a bude take. A kasa da sa'a hudu, an samu sama da mutum 100,000 da suka nuna sha'awarsu ga hoton."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-54322221", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-54321544", "doc1": "নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা মি. ট্রাম্প ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র যোগাড় করেছে। ২০১৬ সালে তিনি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তার পরের বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালনের সময় এই পরিমাণ কর দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনে যা বলা হচ্ছে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, তারা ১৯৯০-এর দশক থেকে থেকে মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র জোগাড় করেছে। তারা লিখছে, ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই তিনি কোন আয়কর দেননি। নথিপত্রে 'ধারাবাহিক লোকসান' উল্লেখ করা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তিনি আয়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসান দেখিয়েছেন'। যদিও মি. ট্রাম্প এটিকে 'ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, \"আমি আসলে আয়কর দিয়েছি। আমার ট্যাক্স রিটার্ন শেষ হলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। আমার আয়করের হিসাব-নিকাশ চলছে।\" তিনি আরও বলেছেন, \"আইআরএস (ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস) আমাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখে না। ওরা আমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে।\" নিজের ব্যবসা ও সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে মামলার মুখে পড়েছেন। মি. ট্রাম্প আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের পর থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের আয়কর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেননি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে কোন আইন নেই তবে প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে প্রার্থীরা সেটি করে আসছেন। এমন সময় এই তথ্য প্রকাশিত হল যার মাত্র কয়েকদিন পরই মি. ট্রাম্প প্রথমবার ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের সাথে বিতর্কে মুখোমুখি হবেন। প্রতিবেদনে আরো যা বলা হয়েছে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে রাজনীতি নয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী তারকা ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি একজন 'রিয়েল এস্টেট টাইকুন' হিসেবে পরিচিত। বিলাসবহুল গল্ফ কোর্স ও হোটেলের মালিক তিনি। মি. ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে তিনশ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়ার জন্য বিদেশি কর্মকর্তা সহ অনেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অর্থ দিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ভোটে হেরে গেলে ট্রাম্প কি ফলাফল মেনে নেবেন? ২০১৮ সালে মি. ট্রাম্প যে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন তাতে দেখা গেছে তিনি ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে, তার আয়কর বিষয়ক নথিতে দেখানো হয়েছে তিনি ৪৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করেছেন। মি. ট্রাম্প দা অ্যাপ্রেন্টিস নামে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন। হোয়াইট হাউজে প্রথম দুই বছর তিনি ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন যার উৎস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোন দেশ। এসব দেশের মধ্যে ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের নাম উঠে এসেছে। এমনকি 'দি অ্যাপ্রেন্টিস' নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য তিনি ৪২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। বিভিন্ন ব্রান্ড তার নাম ব্যবহার করবে সেজন্যেও তিনি ১৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এসব আয়ে তিনি কর প্রদান করেননি বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করছে। মি. ট্রাম্পের প্রতিপক্ষরা তার কড়া সমালোচনা করছেন। ওয়াশিংটনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত, হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, \"কর ফাঁকি দেয়ার নানা নিয়মাবলী নিয়ে মি. ট্রাম্প বেশ ভালই খেলেছেন। কর ফাঁকি দিতে তিনি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন।\" অন্যান্য খবর: দীপিকা পাডুকোন: কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই বলিউড তারকাকে সরকারের সঙ্গে আহমদ শফীর সখ্যতা বাংলাদেশকে যতটা বদলে দিয়েছে ধর্ম অবমাননার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরের সাজা খাটতে চাইলেন বিদেশী ঐতিহাসিক", "doc2": "Jaridar ta ce ta samu bayanan biyan harajin shugaban na shekaru 20 bayan kwashe tsawon lokaci yana ɓoyewa. Bayanan sun nuna cewa a cikin shekaru goma daga cikin shekaru sha biyar kafin ya hau kan mulki bai biya haraji ba kwata-kwata. Jaridar ta ce bayanan sun nuna yadda Trump a matsayinsa na dan kasuwa ya rika tafka asara tsawon lokaci da kuma yadda ya rika kaucewa biyan haraji. Ya rika nunawa mahukunta cewa bazai biya ba saboda asarar da yake tafkawa ta fi ribar da yake samu yawa sosai, nesa ba kusa ba. Mista Trump ya yi watsi da rahoton a matsayin \"labarin karya. \" Ya shaida wa manema labarai ranar Lahadi cewa: \"A gaskiya ina biyan haraji. Kuma nan ba da jimawa za ku ga haka idan na karbi takardun harajina - ana gudanar da bincke a kansu, an dade ana gudanar da bincike a kansu.\" Ita dai Jaridar New York Times ta ce tana shirin wallafa jerin labarai game da takardun harajin na Trump gabanin zaben kasar na Nuwamba. Wadanne abubuwa jaridar ta bankado? Shugaban lauyoyin gamayyar the Trump Organization ya ce \"galibin abubuwan da aka fada ba gaskiya ba ne.\" The Times ta ce ta yi nazari kan takardun haraji na Shugaba Trump da kamfanoni mallakar iyalan Trump tun daga shekarun 1990s, da kuma harajin nasa na 2016 da 2017. Ta ce shugaban ya bia harajin $750 kacal a 2016 da 2017, kuma bai biya haraji ba kwata-kwata a shekaru 10 cikin shekaru 15 da suka gabata, \"saboda ya bayar da labarin cewa ana yin asara\" a harkokin kasuwancinsa. Mr Trump hamshakin dan kasuwa ne gabanin zamansa shugaban Amurka. Si dai jaridar ta ce bayanan da ya bai wa hukuar haraji ta kasar \"sun nuna shi a matsayin dan kasuwar da ke samun miliyoyin dala a duk shekara amma yana cewa yana yin asara domin zille wa biyan haraji\". Gamayyar harkokin kasuwancinsa mai suna the Trump Organization ta bi sahun shugaban kasar wajen musanta zille wa biyan haraji. Shugaban lauyoyin gamayyar Alan Garten, ya shaida wa the Times cewa \"galibin abubuwan da aka fada ba gaskiya ba ne.\". Tun shekarar 1970 shi kadai ne shugaban da ya boyewa 'yan kasar bayanan harajinsa, abin da wasu ke kallo a matsayin boye gaskiya. Yayin da ya rage makonni biyar kacal a gudanar da zaben shugaban kasa, masu adawa da Mr Trump sun yi hanzarin yin Allah wadai da bayanan harajin nasa. Kakakin majalisar wakilai Nancy Pelosi, ta ce shugaban ya dauki matakai na ban mamaki domin kaucewa biyan kasonsa dai dai, yayin da Amurkawa dake aiki tukuru ke biyan nasu. Har yanzu babu wani bayani da ya fito daga dan takarar shugaban kasar na Democrats, Joe Biden, amma kwamitin yakin neman zabensa ya bayyana cewa ashe dai malamai da masu kashe gobara da ma'aikatan jinya duk sun biya harajin da ya fi Mista Trump."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46290951", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46293376", "doc1": "ভাত-মাংসের ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি রান্না। মহিলাটি তার প্রেমিককে হত্যার পর এভাবেই রান্না করেন। কৌঁসুলিরা বলছেন, এই মহিলা - যার বয়েস ত্রিশের কোঠায় -তার প্রেমিককে হত্যা করেন তিন মাস আগে। তবে এই অপরাধের কথা জানা যায় অতি সম্প্রতি, যখন তার রান্নাঘরে ব্লেন্ডারের ভেতর মানুষের একটি দাঁত পাওয়া যায়। আমিরাতের দি ন্যাশনাল নামের দৈনিক পত্রিকা এক রিপোর্টে বলেছে যে মহিলাটি পুলিশের কাছে এ কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন। আল আইন শহরের মহিলাটির সাথে সাত বছর ধরে নিহত ব্যক্তিটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে যখন ওই ব্যক্তি তাকে বলেন যে তিনি মরোক্কোতে আরেক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পুলিশ প্রকাশ না করলেও, জানিয়েছে যে লোকটির মাংস এবং ভাত দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পদ রান্না করে ওই এলাকায় পাকিস্তানী শ্রমিকদের খাইয়েছেন ওই মহিলা। মহিলার ভাষায়, সেটা ছিল একটা 'পাগলামি'র মুহূর্ত। হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বলেও দুবাই-ভিত্তিক গালফ নিউজ জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, হত্যার পর তিনি তার ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে এক বন্ধুর সাহায্য নেন। অভিযুক্ত মহিলাকে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবরে বলা হয়। জানা যায়, নিহত ব্যক্তির খোঁজে তার ভাই মহিলাটির ফ্ল্যাটে যান, মহিলাটি তাকে বলেন যে তার ভাইকে তিনি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পরে তার ভাই ঘরের ব্লেন্ডারের ভেতর একটি মানুষের দাঁত দেখতে পান। পরে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে দাঁতটি নিখোঁজ ব্যক্তিরই। ঘটনাটির এখন তদন্ত চলছে, এবং এর পর মহিলাটিকে বিচারের জন্য আদালতে আনা হবে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৫০০ গ্রেফতার: বিএনপি সরাসরি ভোটের লড়াই করে এমপি হতে চান যে নারীরা তারেক রহমান কী প্রশ্ন করেছেন বিএনপি প্রার্থীদের? পুরুষেরা যে কারণে মেয়েদের কাছে যৌনাঙ্গের ছবি পাঠায়", "doc2": "Matar ta yi wani nau'in abinci irin wannan da naman saurayin nata ta bai wa wasu suka ci Matar ta kashe saurayin nata ne wata uku da suka gabata, amma sun ce sai a kwanan nan ne aka gano abun da ya faru bayan da aka ga hakorin mutum a cikin injin markadenta. Jaridar kasar mai suna The National ta ruwaito matar na cewa ta amsa laifinta amma kuma tana \"ta samu tabin hankali ne a wannan lokacin.\" Za a fara yi wa matar, mai shekara 30 shari'a kafin a kammala bincike. Ta shafe shekara bakwai tana hulda da saurayin nata. Jaridar The National ta ce ta kashe shi ne bayan da ya shaida mata cewa yana shirin auren wata budurwar daga Moroko. A yayin da 'yan sanda ba su yi bayanin yadda aka kashe shi ba, sun ce budurwar tasa ta yi wani abincin gargajiya na kasarsu da naman jikinsa ta kuma raba wa wasu ma'aikata 'yan Pakistan da suke kusa da gidanta. An gano lamarin ne kawai bayan da dan uwan mamacin ya je nemansa a gidan matar da ke birnin Al Ain wanda ke kan iyakar UAE da Oman. Jaridar ta ce a can ne ya gano hakorin mutum a cikin injin markade. Daga nan sai mutumin ya je ya shaida wa 'yan sanda batun batan dan uwansa, su kuma suka yi gwajin kwayoyin halitta a hakorin suka kuma gano cewa na saurayin nata ne. A cewar 'yan sanda, matar ta fara shaida wa dan uwan saurayin nata cewa ta kore shi ne daga gidan. Amma kafar yada labarai ta Gulf mai cibiya a Dubai ta ce daga bisani matar ta yi lakwas ta kuma dauki alhakin kashe shi bayan da 'yan sanda suka tuhume ta. An ruwaito ta sau da dama tana cewa ta nemi taimakon kawarta ne ta gyara gidan nata bayan da ta aiwatar da kisan. An dai tura ta asibiti don a yi mata gwajin kwakwalwa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-52482424", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-52496911", "doc1": "বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুর মারা গেছেন দীর্ঘ সময় বলিউডে অভিনয়ের সাথে যুক্ত কাপুর পরিবারের সদস্য ছিলেন ঋষি কাপুর। ১৯৭৩ সালে কিশোর প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি 'ববি' সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিউডে আগমন হয় তার। দুই দশকের বেশি সময় ধরে বহু সিনেমায় রোমান্টিক নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি। পরে বহু সিনেমায় সফলভাবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের সিনেমা 'মেরা নাম জোকার'-এ শিশু অভিনেতা হিসেবে বলিউড অভিষেক হয় তার। তার ছেলে রনবীর কাপুরও গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডের সিনেমায় অভিনয় করছেন। ২০১৮ সালে ঋষি কাপুরের দেহে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। এরপর নিউ ইয়র্কে এক বছর চিকিৎসা নেয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে ভারতে ফেরেন। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া কে তার ভাই রানধির কাপুর জানান বুধবার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে ভারতের রাজনীতিবিদ ও বলিউডে তার সহকর্মীদের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। আরো পড়তে পারেন: বলিউড অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন নেটফ্লিক্সের এই সিনেমাটি নিয়ে কেন এত বিতর্ক হচ্ছে নিষিদ্ধ ইরানি পরিচালকের যে সিনেমা পুরষ্কার জিতলো জোকার সিনেমা কি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি?", "doc2": "Shi ne da na biyu a wajen Raj Kapoor da mahaifiyarsa Krishna Raj Kapoor, jika ne kuma a wajen Prithviraj Kapoor. 'Yan uwansa da suke ciki daya sune Randhir Kapoor da Rajiv Kapoor da Ritu Nanda da kuma Rima Jain. Bappaninsa wato kannan mahaifinsa akwai Shashi Kapoor da Shammi Kapoor, sai kuma kawunansa wato kannan mahaifiyarsa sune Prem Nath da Rajendra Nath da Narendra Nath da kuma Prem Chopra. Rishi dan na gada ne a fim, ma'ana ya gaji fitowa a fim tun daga kakansa. Fitaccen jarumin ya yi karatu a Campion School, da kuma kwalejin Mayo College. Rishi ya fara fitowa a fim ne tun yana shekara uku a duniya amma a cikin waka ya fito wato wakar cikin fim din Shree 420 da mahaifinsa ya fito a ciki. Daga nan bai kara fitowa a fim ba sai a 1970 inda ya fito a fim Mera Naam Joker, fim din mahaifinsa. Fim din da za a ce Rishi ya fito a matsayin cikakken jarumin fim din shi ne Bobby wanda suka fito tare da jaruma Dimple Kapadia. Daga nan ne fa ganin irin rawar da ya taka a fim din Bobby sai masu shirya fim suka fara rububin sanya shi a cikin fim. Wani abu ga jarumin shi ne mafi akasarin fina-finansa duk na soyayya ne, hakan ya sa ake ce masa baban soyayya. In dai fim na soyayya ne aka sanya Rishi a ciki to abin zai kayatar domin ya iya soyayya sosai. Don fim din soyayyar nan ma da ya yi tashe wato Laila Majnu Rishi ne ya fito a cikinsa. Yana daga cikin kyawawan jarumai maza na India, bashi da fitina, gashi mai barkwanci. Wadannan halaye nasa ne suka sa ya shiga ran mutane da dama ba ma a kasarsu ba har ma a sauran kasashen duniya. Rishi ya yi fina-finai da dama tare da jarumai da dama ciki kuwa har da Amitabh Bachchan wanda yana daga cikin jaruman India da suka kadu da rasuwarsa. Bashi da abokin fada,ya samu lambobin yabo da dama sakamakon rawar da ya taka a fina-finai na India ciki har da na gwarzon jarumai. Kamfanoni da kasashe da dama sun karrama Rishi Kapoor saboda gudunmuwar da ya bayar a fina-finan Bollywood. Ya auri matarsa Neetu Singh Kapoor a 1980, inda suka haifi 'ya'ya biyu Ranbir Kapoor wanda shi ma jarumi ne a yanzu da kuma Riddhima Kapoor Sahani. Jarumai da dama sun mika sakon ta'aziyyarsa ga iyalan marigayin, kamar Akshay Kumar da Ajay Devgan da Shahrukh Khan da Salman Khan da Rajnikant da Jeetandra da Boma Irani da Priyanka Chopra da Kajol da Varun Dhawan da dai sauransu. Rishi Kapoor ya mutu ne a ranar Alhamis 30 ga watan Afirilu, 2020, bayan ya sha fama da jinya. Duk da dokar hana fitar da aka sanya a kasar saboda annobar korona, jarumai da dama sun samu damar halartar jana'zarsa. Jaruman kamar Amitabh Bachchan da dansa Abhishek da Saif Ali Khan da Kareena Kapoor da Aliya Bhatt dai sauransu. Daga cikin fitattun fina-finanan da ya fito a ciki akwai Karz da Khel Khel mein da Amar Akbar Anthony da Kabhi Khabhe da Yeh Vaada Raha da Chandni da Hum Kisise Kum Naheen da Sargam da Bol Radha Bol da dai sauransu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51201969", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51207809", "doc1": "জামাল খাসোগজির মৃত্যুর পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে জেফ বেজাসের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, যুবরাজের ব্যবহার করা একটি ফোন নম্বর থেকে আসা একটি বার্তা এই হ্যাকিংয়ের সাথে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস এই প্রতিবেদনগুলোকে \"অযৌক্তিক\" উল্লেখ করে বলেছে এবং প্রতিবেদনগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার সাথে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার পাশাপাশি মিস্টার বেজোস ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস বলেও পরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাওয়ার পরপরই মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলে, তথ্য চুরির ঘটনায় পরিচালিত তদন্তে জানা যায় যে, প্রিন্সের কাছ থেকে একটি এনক্রিপ্ট করা ভিডিও ফাইল পাওয়ার পর থেকেই এই কোটিপতির ফোন গোপনে বিশাল পরিমাণ তথ্য বিনিময় শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস টুইটারে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমাজন বিবিসিকে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। আমেরিকার ট্যাবলয়েড দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার-এ মিস্টার বেজোসের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এসব প্রতিবেদন আসে। জেফ বেজোস এবং তার বান্ধবী ফক্স টেলিভিশনের সাবেক উপস্থাপিকা লরেন স্যানচেজের মধ্যে বিনিময় করা লিখিত বার্তা ফাঁস করার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিস্টার বেজোস দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের বিরুদ্ধে \"অন্যায় দাবী এবং ব্ল্যাকমেইল\" করার অভিযোগ তোলেন। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা কেন বড় বড় সংবাদপত্র কিনছে সম্পদের অর্ধেক দান করবেন অ্যামাজন প্রধানের সাবেক স্ত্রী ভারতে দোকানদাররা ও জেফ বেজোস যখন মুখোমুখি এর এক মাস আগে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাককেনজি বেজোস ঘোষণা দেন যে, \"দীর্ঘ সময়\" আলাদা থাকার পর তারা তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে তালাকের পরিকল্পনা করছেন। মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম নয়। গত বছরের মার্চে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন যে, সৌদি আরব হ্যাকের সাথে জড়িত এবং তাঁর (বেজোসের) তথ্যে তারা প্রবেশাধিকার পেয়েছে। গেভিন ডি বেকারকে মিস্টার বেজোস ভাড়া করেছিলেন এটা খুঁজে দেখতে যে, তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের কাছে ফাঁস হলো। মিস্টার ডি বেকার হ্যাকের ঘটনাকে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে দেশটির লেখক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনাটিকে ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদ পরিবেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছিলেন। আরো খবর: নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ নয়: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চালু হলো ই-পাসপোর্ট, জেনে রাখতে পারেন এই ৭ তথ্য ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশি পাসপোর্টের ক্ষমতা বাড়াবে কি? ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি শুরু, সেনেটরদের লড়াই রক্তের কোষ সারাতে পারে সব ক্যান্সার: গবেষণা মাইকে আজানের অনুমতি দিল না এলাহাবাদ হাইকোর্ট প্লাস্টিক দূষণের জন্য কারা বেশি দায়ী?", "doc2": "Dangantaka tayi tsami tsakanin dan kasuwar da yariman Saudiyya tun bayan kisan Khashoggi Ofishin jakadancin kasar a Amurka ya bayyana zargin a matsayin mara tushe ballantana makama, tare da bukatar aiwatar da bincike domin tabbatar da gaskiyar lamari. Dangantaka ta yi tsami tsakanin Saudiyya da biloniyan dan kasuwar wanda kuma shi ne mamallakin fitacciyar jaridar nan ta Amurka wato 'Washington Post', bayan kisan daya daga cikin marubutanta Jamal Khashoggi da ake zargin yariman da yi. An yi kutse wayar dan kasuwar ne bayan samun wani sako ta WhatsApp dinsa a watan Mayun 2018, kuma yariman Saudiyyan Muhammad Bin Salman ne ya aika masa da sakon kamar yadda Jaridar Guardian ta ruwaito. Wani bincike da aka kaddamar dangane da laifin kutsen da ya sabawa ka'idar bayanan sirri ya nuna cewa jim kadan bayan latsa mashigin wani bidiyo da yariman ya aika masa sai kawai wayar ta fara fitar da dumbin bayanan sirrin da aka jibga mata. Saudiyya dai ta musanta zargin. Masu bincike a kan sahihancin bayanai sun kaddamar da bincike na musamman a kan wayar dan kasuwar a wannan watan, domin samun wasu karin bayanai. Kamfanin Amazon ya dan yi jinkirin yi wa BBC karin bayani kamar yadda muka nema tun da farko. An dora zargin ne kan rahoton wata cibiyar kwararru masu ba da shawara a kan harkokin tsaro da dan kasuwar ya hayo. Ana sa ran Majalisar Dinkin Duniya za ta fitar da sanarwa a kan sahihancin zarge-zargen a Larabar nan."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-43040759", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/43041602", "doc1": "যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড বলেছেন, এই সফটওয়্যার টুলের মাধ্যমে ৯৪ শতাংশ আইএস এর কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা সম্ভব। সেগুলো মুছে দিতে ই সফটওয়্যারটির সক্ষমতা ৯৯.৯৯৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রমানিত। আর যেসব জিনিস মুছে দেবার ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সেটি মানব সিদ্ধান্তের জন্য ছেড়ে রাখবে। লন্ডনের একটি ফার্ম নতুন এই বিশেষ টুলটি তৈরি করেছে। এটি তৈরিতে ব্রিটিশ সরকার ছয় লাখ পাউন্ড অর্থ প্রদান করেছে। ইন্টারনেটে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ আইএসের নানারকম অডিও-ভিডিও উপকরণসহ বড় ডাটাবেস আছে, যা দিয়ে নানারকম প্রচারণা চালিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার উদ্দেশে পাশ্চাত্য দেশগুলোর বহু তরুণতরুণী তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে। পাশ্চাত্যের উন্নত বহু দেশেই সন্ত্রাস দমন বিভাগের তদন্তকারীরা বিষয়টি নিয়ে ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। পশ্চিমা দেশের এসব অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা হঠাৎ তাদের বাড়িঘর থেকে উধাও হয়ে যায়। আরো পড়ুন: বিটকয়েন খুঁজতে গিয়ে যে দেশ বিদ্যুৎ সংকটে 'খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করার চেষ্টা চলছে' পরে ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে অনেকের। এদের বড় অংশটিকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেটের প্রচারণাও মাধ্যমে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হয়ত এই জায়গাটিতে কাজ করবে নতুন সফটওয়্যারটি। তিনি বলেন, হয়ত একদিন সব প্রতিষ্ঠানের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার ভবিষ্যতে আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। সন্ত্রাস-দমন সংক্রান্ত আলাপ আলোচনায় এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন তিনি। এসময় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নতুন সফটওয়্যার নিয়েও আলাপ করবেন। তবে, এ ধরণের প্রযুক্তি আগে মুক্ত ইন্টারনেটের পক্ষের মানুষেরা ব্যপকভাবে সমালোচনা করেছেন।", "doc2": "Amber Rudd ta bayyana cewa manhajar na iya gano kashi casa'in da hudu cikin dari na harkokin IS Ministar harkokin cikin gidan Birtaniya Amber Rudd, ta je Amurka domin tattauna batun manhajar da kamfanonin fasaha tare kuma da yunkurin rage ta'addanci. Sabuwar manhajar wacce wani kamfanin fasaha a Landan ya kirkiro na amfani ne da wata ma'ajiya mai girma wacce ta kunshi abubuwan da kungiyar IS su ke sawa a shafukan intanet. Amber Rudd ta bayyana cewa manhajar na iya gano kashi casa'in da hudu cikin dari na harkokin IS, kuma a na sa ran nan gaba za a kafa dokar da za ta tilastawa kamfanoni amfani da wannan manhaja."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-44557868", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-44577183", "doc1": "ক্লিফিন ফ্রান্সিস। তার বন্ধু জানতে চেয়েছিলেন যে ক্লিফিন এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেখবে কি-না। তার উত্তর ছিলো, \"অবশ্যই। আমি এমনকি রাশিয়া চলেও যেতে পারি খেলা দেখতে\"। সেটা ছিলো গত বছর অগাস্টের ঘটনা। তখনো তার মাথায় ছিলোনা কীভাবে বিমান টিকেট যোগাড় হবে কেরালা থেকে রাশিয়া যাবার জন্য। পেশায় শিক্ষক তবে তার স্থায়ী চাকুরী নেই। গণিতের ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষক হিসেবে তার আয় দিনে প্রায় ৪০ ডলারের মতো। \"আমি অনুধাবন করলাম রাশিয়ায় যাওয়া ও এক মাস সেখানে থাকার জন্য আমার যথেষ্ট টাকা নেই। তারপরেই নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকি যে কমদামে কি উপায় হতে পারে। আর এটার উত্তর ছিলো বাইসাইকেল\"। আর এতো কষ্টের চিন্তার একটাই কারণ সেটি হলো পুরষ্কার হিসেবে সেখানে মিলতে পারে লিওনেল মেসিকে দেখার সুযোগ। তিনি বিবিসিকে বলেন, \"আমি সাইকেল ভালোবাসি ও ফুটবল পাগল। শুধু এ দুটোরই সমন্বয় ঘটিয়েছিলাম আমি\"। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলেন যে পাকিস্তান হয়ে যাবেন কিন্তু পরে সেটি বাদ দেন ভারতে পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর সম্পর্কের কারণে। আরো পড়ুন: আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকে বিভক্ত ভারতের যে শহর বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উন্মাদনা কবে থেকে? অনলাইনে মেসি-রোনাল্ডো ভক্তদের 'বিদ্রূপ-যুদ্ধ' ফুটবল আর বলিউড সিনেমা অচেনা জায়গায় তার কাজ সহজ করেছে। ফুটবল এবং ফিল্ম পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার জন্য কিছুটা মূল্যও দিতে হয় ক্লিফিনকে। যেমন দুবাইতে নিজের সাইকেল নিতে পারেননি বরং সেখানে আরেকটি কিনতে হয়েছে প্রায় সাতশ ডলার খরচ করে। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তিনি ১১ই মার্চ ইরানের বান্দার আব্বার বন্দরে প্রবেশ করেন। \"এটা বিশ্বের চমৎকার একটি দেশ এবং মানুষগুলোও চমৎকার। ৪৫ দিন ওখানে কাটিয়েছি অথচ এর মধ্যে হোটেলে ছিলাম মাত্র দু দিন\"। আসলে ইরানের যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই স্থানীয়দের অতিথি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। \"ইরান সম্পর্কে আমার ধারণাই বদলে গেছে। আসলে ভূ রাজনীতির ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ সম্পর্কে ধারণা করাই উচিত নয়\"। তিনি বলেন, \"ইরানীরা আমার কাছ থেকে কথা নিয়েছে যে রাশিয়ায় ইরান দলকে সমর্থন যোগাবো। আর তারাও বলিউডের সিনেমা পছন্দ করে। আসলে এটিই আমাকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করেছে\"। এমন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে। সাইক্লিং করে চেহারাই পরিবর্তন ইরান থেকে তিনি সাইকেল চালিয়ে যান আজারবাইজান। কিন্তু সমস্যায় পড়েন সীমান্তে। কারণ পাসপোর্টে যে ছবি আছে সেটি দেখে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলোনা সীমান্ত পুলিশের। \"কারণ অতিমাত্রায় সাইক্লিং এর কারণে ততদিনে আমার ওজন প্রচুর কমে গিয়েছিলো। পাসপোর্টের ছবির মতো আমাকে দেখাচ্ছিলোনা। আট ঘণ্টা সময় নিয়ে পুলিশ আমার তথ্যাদি যাচাই করেছে। যদিও তারা বেশ ভালো আচরণই করেছিলো আমার সাথে\"। আজারবাইজানেও হোটেল এড়াতে নিজের বহন করা তাঁবুতেই অবস্থান করেছেন তিনি। মাঝে মধ্যে দেখা হয়েছে অন্য সাইক্লিষ্টদের সাথেও। আটকে ছিলেন 'নো ম্যানস' ল্যান্ডে এরপর যখন জর্জিয়াতে পৌঁছালেন তখন মিস্টার ফ্রান্সিসকে আর সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিলোনা। ফলে তার পরিকল্পনায় আরও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। \"সব ডকুমেন্টস ছিলো আমার। তারপরেও জানিনা কেন আমাকে অনুমতি দিলোনা তারা। তারা বিপদেই ফেলে আমাকে কারণ আজারবাইজানের জন্য আমার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ছিলো\"। এরপর পুরো একদিন তিনি আটকে থাকেন জর্জিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নো ম্যানস ল্যান্ডে। পরে জরুরি ভিসা পান আজারবাইজানে পুনরায় প্রবেশের জন্য। \"পরে আরেকটি রুট বের করি রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য। লোকজন বলে আজারবাইজানের সাথে রাশিয়ার দাগেস্তান অঞ্চলের স্থল সীমান্ত আছে। সেখানেই যাই আমি। কিন্তু জায়গাটা ঠিক নিরাপদ মনে হলোনা। কিন্তু আমার ফিরে যাওয়ার উপায় ছিলোনা। ৫ই জুন দাগেস্তানে প্রবেশ করি\"। পাড়ি দিতে হয়ে প্রতিকূল পরিবেশ ও আবহাওয়া। ভাষা ছিলো বড় একটি সমস্যা কারণ লোকজন ইংরেজি বুঝতো না। \"বরং একজন ভারতীয়কে সাইকেলে করে তাদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেখে তারা অবাক হয়। এখানে আবার সেই ফুটবল আর সিনেমাই আমাকে তাদের সাথে সহজ করে তোলে\"। এরপর তিনি সেখান থেকে যান তামভবে যেটি মস্কো থেকে সড়কপথে ৪৬০ কিলোমিটার দুরে কিন্তু তাকে যেতে হবে মস্কো ২৬শে জুনের ফ্রান্স বনাম ডেনমার্কের খেলা দেখতে কারণ ওই একটি খেলার টিকেটই তার আছে। সহজেই মিশেছেন অন্য দেশের মানুষের সাথে। \"কিন্তু আমি সমর্থন করি আর্জেন্টিনা এবং লিওনেল মেসি আমার প্রিয়। তাকে পুজো করি আমি। তার সাথে দেখা করা আর তাকে আমার সাইকেলে একটা অটোগ্রাফ দেয়ার কথা বলাটাই আমার স্বপ্ন\"। ক্লিফিন ফ্রান্সিসের আশা একদিন তার দেশ ভারতও বিশ্বকাপ খেলবে আর সেটি হলে আগামী দু দশকের মধ্যেই। তিনি বলেন রাশিয়ার পথে তার যাত্রার এ গল্প পড়ে যদি একটি শিশুও সাইক্লিং ও ফুটবল নিয়ে আগ্রহী হয় তাহলেই তিনি সার্থক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপে দর্শকদের সমর্থন বদলে দিচ্ছে যে দলগুলো বিশ্বকাপে ফ্লার্ট করা নিয়ে বিপাকে আর্জেন্টিনা খেলা শেষে জাপান সমর্থকরাই পরিষ্কার করলো স্টেডিয়াম আইসল্যান্ডের ফুটবল দলের সাফল্যের পেছনে যারা আবেগের জোয়ার", "doc2": "\"Kwarai kuwa,\" in ji shi. \"Zan iya zuwa Rasha domin ganin kasaitaccen bikin.\" An yi wannan maganar ce a cikin watan Agusta - amma bai san yadda zai sami kudin tikitin jirgi daga inda yake zama a garin Kerala ba. Mista Francis wani malamin lissafi ne mai zaman kansa kuma yana samun dala 40 (kimanin naira 14,400) a ko wacce rana. \"Na fahimci cewar ba zan iya samun isasshen kudin da zai kai ni Rasha in kuma yi zaman wata daya a can ba. Sannan na tambayi kai na - wacce hanyar tafiya ce za ta iya kasance wa wadda ta fi sauki? Hanyar keke ce amsar.\" Abokanansa ba su yarda da shi ba, amma zuwa wancan lokacin ya riga ya yanke shawara. Ranar 23 ga watan Fabrairu, ya fara wata tafiya mai cike da ban mamaki inda ya tafi Dubai ta jirgin sama, ya hau kwale-kwale zuwa Iran. Amma daga nan zuwa babban birnin kasar Rasha tazarar ta dara kilomita 4,200km (2,600 miles) inda yake son zuwa a keke. Abin da ya ke nema a karshe, shi ne - damar samun ganin gwaninsa, Lionel Messi na Ajantina, wanda wasu ke yi wa kallon dan wasan da ya fi iya taka leda a duniya. Mista Francis ya shaida wa BBC cewar: \"Ina son tuka keke kuma ina matukar kaunar kwallon kafa. Kawai sai na hada abubuwa biyu da na ke so.\" Ya so ya yi tafiya ta Pakistan, amman dole ya sake shawara saboda yadda dangantaka ta yi tsami tsakaninta da Indiya. 'Kwallon kafa da fina-finai' \"Sauya shiri ya sa na yi rashi sosai. Ban iya na kai keke na Dubai ba saboda haka dan dole na sayi wani wanda ya kai dala 700 (kimanin naira 254,000). Ba wanda ya fi dacewa ga tafiya mai nisa ba, amma wannan shi ne abin da nake da karfin saya kenan,\" in ji shi. Amma ya manta wannan koma-bayan lokacin ya shiga filin jirgin ruwan Bandar Abbas na kasar Iran ranar 11 ga watan Maris. \"Kasa ce wadda ta fi kyau a duniya, kuma mutanen suna karbar baki hannu bibiyu. Na shafe kwana 45 a cikin kasar, amma kwana biyu kawai na yi a otel,\" in ji shi. Mista Francis ya yi tanadin kashe dala 10 ne a ko wacce rana, amma ya ce a duk inda ya je a Iran, mutane suna gayyatarsa ya zauna a gidajensu kuma suna yi masa tayin abijnci. \"Tunani na game da Iran ya sauya. Na fahimci cewa bai kamata mutum ya gina ra'ayinsa game da wata kasa ba bisa siyasar yanki,\" in ji shi. Ya tuna gine-ginen kasar masu ban mamaki. Ya ce: \"wuyar tuka keke ta ragu sosai saboda kauyukan Iran masu kyau. Zan sake komawa. \"Sun sa na yi alkawarin cewar zan mara wa tawagar Iran baya idan na isa Rasha. Su ma suna kaunar Bollywood kuma wannan ya ba ni damar mutane su saki jiki da ni a wurare da dama,\" in ji shi. \"Gaskiya ce cewar kwallon kafa da fina-finai suna hada kan duniya.\" Tuka keke ya sa ya rame Daga nan sai ya tafi kasar Azerbaijan, inda jami'an shige da fice suka samu matsala wajen tantance takardun tafiyarsa - saboda ya rame sosai wurin tuka keke\". \"Ban yi kama da hotonan da ke cikin fasfo di na ba. Jami'an tsaron sun shafe fiye da sa'o'i takwas wajen tantance bayanaina, amma sun taimaka mini.\" Mista Francis bai iya biyan kudin otel ba a Azerbaijan kuma a yawancin lokuta ya kafa tentinsa a kebabbun wurare ne. \"Mutane anan ma sun kasance kasance masu kyawawan halaye, amma sukan daukar lokaci kafin su saki jiki da bako. Na samu wasu Indiyawa da ke zama a babban birnin kasar Baku kuma na zauna da su zuwa wani lokaci.\" Makalewa a 'garin da ba na kowa ba' A lokacin da Mista Francis ya kai Georgia, an hana shi shiga, kuma ya zama dole ya sake sauya shirinsa, a lokacin da ya kusan zuwa birnin Moscow. \"Ina rike da dukannin takardu, amma ban san me ya sa aka hana ni shiga ba. Wannan ya saka ni cikin wani yanayi na rashin tabbas saboda izini (bisa) na shiga Azerbaijan na lokaci daya ne,\" in ji shi. Mista Francis ya makale a garin da ba na kowa ba a tsakiyar Georgia da Azerbaijan cikin yini daya. Daga baya an ba shi bisar sake shiga Azerbaijan ta gaggawa. Ya ce: \"Sannan na sake neman wata hanya ta shiga Rasha. Wani ya shaida mini cewa Azerbaijan tana da bakin iyaka da yankin Dagestan na kasar Rasha.\". \"Na je wannan wurin ba tare da sanin cewa wuri ne da ake ganin yana cike da rashin tsaro ba. Amma ba ni da zabin komawa baya, kuma na shiga Dagestan ranar biyar ga watan Yuni.\" Ya kara da cewa harshe ya kasance wata babbbar matsala saboda da wuya a samu wadanda suka iya Turancin Ingilishi a Dagestan. \"Mutane sun yi mamakin ganin ba-Indiye ya shiga yankinsu kan keke. Na sake amfani da harshen kwallon kafa da na fim wajen saka mutane su saki jiki da ni.\" A halin yanzu Mista Francis ya na dab da birnin Moscow. Yana bukatar kasancewa a babban birnin kasar zuwa ranar 26 ga watan Yuni domin kallon fafatawa tsakanin Faransa da Denmark. \"Wasan da na samu na sayi tikicin shiga kenan,\" in ji shi. Lionel Messi ya kware sosai - amma zai so ya mance da fenaretin da ya barar a wasansu da Iceland \"Amma ina goyon bayan Argentina kuma Lionel Messi ne na fi so - Ina bauta masa. Ina fatan haduwa da shi in kuma neme shi ya rattaba hannu kan keke na.\" Clifin Francis na fatan cewa tafiyarsa zai bai wa mutane karfin gwiwa game da kwallon kafa da kuma motsa jiki domin tabbatar da lafiyar jiki. \"Ina fatan ganin Indiya za ta samu shiga gasar kofin duniya wata rana. Kuma wannan zai faru ne kawai idan an samu karin yara da suke wasan kwallon kafa a Indiya. Ina da kwarin gwiwa game da damarmakinmu cikin shekara 20 masu zuwa,\" in ji shi. \"Ina fatan cewa mutane za su soma hawan keke bayan sun karanta labari na. \"Hawan keke yakan mayar da mutun yadda ake a da can. Abin da kake bukata daga baya shi ne wanka, inda za ka saka tenti da kuma abinci mai kyau, za ka yi farin ciki. \"Zan yi murna idan tafiyata ta sa wani yaro ya fara buga kwallon kafa a Indiya.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53267334", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53257992", "doc1": "হাইয়া সোফিয়া দেড় হাজার বছরের পুরোনো ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের তুরস্ক আবার এটাকে মসজিদে পরিণত করতে চায়, এবং আদালত পক্ষে রায় দিলে তা হতে পারে। তবে মাত্র ১৭ মিনিটের শুনানীর পর তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা – দি কাউন্সিল অব স্টেট – বলেছে তারা ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি রুলিং দেবেন। মসজিদ না জাদুঘর? হাইয়া সোফিয়া নির্মিত হয়েছিল ষষ্ঠ শতাব্দীতে, তখনকার বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে। প্রায় ১০০০ বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। পরে ১৪৫৩ সালে যখন ইস্তাম্বুল অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায়, তখন একে পরিণত করা হয় মসজিদে। ১৯৩০এর দশকে এটিকে পরিণত করা হয় এক জাদুঘরে। এটি এখন ইউনেস্কো-ঘোষিত একটি বিশ্ব-ঐতিহ্য স্থান। তুরস্কের ইসলামপস্থীরা বহুকাল ধরেই চাইছিলেন এটিকে আবার মসজিদে পরিণত করতে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলীয় এমপিরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের দিক থেকে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করার সমালোচনা করা হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানও বেশ কিছুকাল আগে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করার কথা বলেন। গত বছর মি. এরদোয়ান এক নির্বাচনী সভায় এই পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান। হাইয়া সোফিযা হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল ইস্টার্ন অর্থডক্স চার্চের প্রধান এর বিরোধিতা করেছেন। গ্রিস – যে দেশে লক্ষ লক্ষ অর্থডক্স খ্রীষ্টানের বাস – তারাও এর বিরোধিতা করেছে। গ্রিসের সংস্কৃতিমন্ত্রী লিনা মেনডোনি অভিযোগ করেছেন, তুরস্ক উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তুলতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, হাইয়া সোফিয়ার মত একটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের আন্ত:-সরকার কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন পরিবর্তন করা যাবে না। ইউনেস্কোর উপপরিচালক আরনেস্তো রামিরেজ একটি গ্রিক সংবাদপত্রে দেয়া সাক্ষাতকারে এর সাথে একমত প্রকাশ করে বলেছেন, এরকম পরিবর্তন আনতে হলে ব্যাপকভিত্তিক অনুমোদন প্রয়োজন। জাতিসংঘের এই প্রতিষ্ঠানটি তুরস্কের কাছে এ প্রস্তাব সম্পর্কে একটি চিঠি দিয়েছে। কিন্তু মি. রামিরেজ জানান, তারা কোন উত্তর পাননি। হাইয়া সোফিয়ার বিচিত্র ইতিহাস বসপরাস প্রণালীর পশ্চিম পাড়ে ইস্তাম্বুলের ফাতিহ এলাকায় গম্বুজশোভিত এই বিশাল ঐতিহাসিক ভবনটি খুব সহজেই দর্শকদের নজর কাড়ে। সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে এই হাইয়া সোফিয়া নির্মাণ শুরু হয়েছিল ৫৩২ খ্রীষ্টাব্দে। ইস্তাম্বুল শহরের নাম তখন ছিল কনস্টান্টিনোপল, যা ছিল বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী – যাকে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যও বলা হয়। হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করার সমর্থকরা এর বাইরে নামাজ পড়ছেন এই সুবিশাল ক্যাথিড্রাল তৈরির সময় তখনকার প্রকৌশলীরা ভূমধ্যসাগরের ওপার থেকে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন। হাইয়া সোফিয়া নির্মাণ শেষ হয় ৫৩৭ সালে। এখানে ছিল অর্থডক্স চার্চের প্রধানের অবস্থান। বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজকীয় অনুষ্ঠান, রাজার অভিষেক ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হতো এখানেই। প্রায় ৯০০ বছর ধরে হাইয়া সোফিয়া ছিল পূর্বাঞ্চলীয় অর্থডক্স খ্রিষ্টান ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু। অবশ্য মাঝখানে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে একটি সংক্ষিপ্ত কালপর্ব ছাড়া, যখন চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ইউরোপের ক্যাথলিকরা এক অভিযান চালিয়ে কনস্টান্টিনোপল দখল করে নেয়। তারা হাইয়া সোফিয়াকে একটি ক্যাথলিক ক্যাথিড্রালে পরিণত করেছিল। কিন্তু ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের অটোমান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায় কনস্টান্টিনোপল। এর নতুন নাম হয় ইস্তাম্বুল। চিরকালের মত অবসান হয় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের। হাইয়া সোফিয়ায় ঢুকে বিজয়ী সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ নির্দেশ দেন এটাকে সংস্কার করে একটি মসজিদে পরিণত করতে। তিনি এই ভবনে প্রথম শুক্রবারের নামাজ পড়েন। তার কয়েকদিন আগে অভিযানকারী বাহিনী এখানে ধ্বংসলীলা চালায়। অটোমান স্থপতিরা হাইয়া সোফিয়ার ভেতরের অর্থডক্স খ্রীষ্টান ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতীক-চিহ্নগুলো সরিয়ে ফেলেন বা পলেস্তারা দিয়ে ঢেকে দেন। ভবনের বাইরের অংশে যোগ করা হয় উঁচু মিনার। ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ নির্দেশ দেন এটাকে একটি মসজিদে পরিণত করতে ইস্তাম্বুলে ১৬১৬ সালে ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত হাইয়া সোফিয়াই ছিল শহরের প্রধান মসজিদ। নীল মসজিদ সহ এ শহরের এবং বিশ্বের অন্য বহু মসজিদের নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করে এর স্থাপত্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৮ সালে শেষ হলে অটোমান সাম্রাজ্য পরাজিত হয়। বিজয়ী মিত্রশক্তিগুলো তাদের ভূখন্ডকে নানা ভাগে ভাগ করে ফেলে। তবে ওই সাম্রাজ্যের অবশেষ থেকেই জাতীয়তাবাদী তুর্কী শক্তির উত্থান হয়। তারা প্রতিষ্ঠা করে আধুনিক তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক আদেশ দেন, হাইয়া সোফিয়াকে একটি জাদুঘরে পরিণত করতে। হাইয়া সোফিয়াকে ১৯৩৫ সালে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। এই হাইয়া সোফিয়া এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? তুরস্কের ভেতরে এবং বাইরে বহু গোষ্ঠীর জন্য হাইয়া সোফিয়ার ১৫০০ বছরের ইতিহাস ব্যাপক ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। ১৯৩৪ সালে করা এক আইনে এই ভবনটিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৩৪ সালে করা এক আইনে এই ভবনটিতে ধর্মীয় প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ধার্মিক মুসলমানরা দাবি করেন যে হাইয়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করা হোক। তারা ওই আইনের বিরুদ্ধে ভবনটির বাইরে বিক্ষোভও করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বক্তব্যে এই দাবির প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। গত বছর স্থানীয় নির্বাচনের আগে এক প্রচার সভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, হাইয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করা ছিল এক “বিরাট ভুল।“ এর পর তিনি তার সহযোগীদের নির্দেশ দেন কিভাবে ভবনটিকে মসজিদে পরিণত করা যায় তা খতিয়ে দেখতে। পূর্বাঞ্চলীয় অর্থডক্স চার্চের প্রধান – যাকে বলা হয় ইকিউমেনিক্যাল প্যাট্রিয়ার্ক অব কনস্টান্টিনোপল – তার দফতর এখনো ইস্তাম্বুলে। গত মঙ্গলবার প্যাট্রিয়ার্ক প্রথম বার্থোলোমিউ সতর্ক করে দেন যে, এই ভবনকে মসজিদে পরিণত করা হলে সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ খ্রীষ্টান মর্মাহত হবে এবং দুই বিশ্বের মধ্যে ফাটল দেখা দেবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, হাইয়া সোফিয়ায় কোন পরিবর্তন আনা হলে তা এখন যেভাবে দুই ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সেতু হিসেবে কাজ করছে তা বিনষ্ট হবে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন এ্যাম্বাসাডর এ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন হাইয়া সোফিয়া এখন যে অবস্থায় আছে তেমনি রাখা হয়। কিন্তু তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জোর দিয়ে বলেছেন, এই ভবনটির অবস্থান তুরস্কের ভূখন্ডে, তাই এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গ্রীসের কিছু বলার থাকতে পারে না। ‍“আমরা আমাদের দেশে আমাদের সম্পদ নিয়ে কী করছি তা আমাদের বিষয়” – তুরস্কের টুয়েন্টিফোর টিভিকে বলেন মি. কাভুসোগলু। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কখন থেকে ভ্রমণের জন্য বিদেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা? চীনের জন্য তৈরি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ঢেলে সাজাচ্ছে প্রতিরক্ষা করোনাভাইরাস আপনার মস্তিষ্কের কী অবস্থা করে? ছয় মাসে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড আরও বেড়েছে", "doc2": "Ginin Hagia Sophia yana da dimbin tarihi a addinin Musulunci sannan kuma alama ce ta siyasa An gina wurin ne a ƙarni na shida, inda sarkin tsohuwar daular ƙasar Roma na wancan lokaci Justinian ya bayar da umarnin gina wurin. Ginin ya kasance coci mafi girma na shekaru kusan 1,000. Hagia Sophia wanda wuri ne da hukumar kyautata ilimi da kimiya da al'adu ta Majalisar Dinkin Duniya ta keɓe a matsayin wurin tarihi an taɓa mayar da shi masallaci a lokacin da Daular Othoman ta ci garin da yaƙi a 1453, sai dai an mayar da masallacin wurin tarihi a shekarun 1930. Akwai yiwuwar a mayar da wurin tarihin masallaci idan majalisar ta zartar da hukuncinta a ranar Alhamis. Shugaban Turkiyya Recep Tayyib Erdogan ne ya yi kira da a sauya wurin yayin yaƙin neman zaɓe a bara. Musulmai a ƙasar sun jima suna kira da a mayar da wurin masallaci, sai dai wasu masu adawa da wannan yunƙurin sun ta sukar yin hakan. Wannan ƙudirin ya jawo caccaka daga malaman addini da na siyasa a faɗin duniya. Shugaban cocin Orthodox ya soki wannan yunkuri shi ma. Haka zalika ministar al'adu taƙsar Girka Lina Mendoni ta soki wannan yunkuri inda ta ce neman dawo da ɓangarancin addini ne a ƙsar ta Turkiyya. Ta ce ba zai taɓa yiwuwa a sauya wani abu ba da hukumar kyautata ilimi da kimiya da al'adu ta Majalisar Dinkin Duniya ta keɓe har sai da amincewar kwamitin harkokin gwamnatoci na hukumar. Mataimakin darakta na hukumar ta Unesco a wata tattaunawa da wata jarida ta ƙsar Girka ya ce sai an samu amincewa hakan zai iya yiwuwa. Ya bayyana cewa hukumar ta Unesco ta rubuta wa Turkiyya wasiƙa kan wannan ƙudiri nata, amma har yanzu babu wata amsa da ta mayar. Mene ne tarihin wurin? Tsohon ginin wanda wuri tarihi ne na cikin garin Santambul babban birnin Turkiyya. Sarki Justinian na tsohuwar Daular Roma ne ya bayar da umarnin gina wurin a shekarar 532 a lokacin da ake kiran birnin Constantinople - wanda nan ne babban birnin Daular Gabashin Roma. Ginin yana daya daga cikin manyan wurare da ake kai ziyara a Turkiyya Injiniyoyi na ƙasar a lokacin sun kawo kayan ginin wurin ne daga ƙetaren Mediterranean domin ginin cocin. Hagia Sophia ya zama wani wuri na musamman ko kuma tamkar gida ga mabiya addinin kirista da ke bin ɗariƙar Orthodox na kusan shekaru 900. Sai dai a 1453, Daular Othoman ƙarƙshin mulkin Sultan Mehmed II ya ci Constantinople da yaƙi inda ya mayar da sunan garin Istanbul, wanda a hausace ake kira da Santambul, hakan ya kawo ƙarshen Daular Gabas ta Roma. Da shigarsa Hagia Sophia, Mehmed II ya kafe kan cewa sai an mayar da cocin masallaci. Ya halarci Sallar Juma'a ta farko a ginin cocin wanda aka mayar masallaci mako guda bayan ya ci garin da yaƙi. Ba da jimawa ba aka gina hasumiyoyi a cikin ginin tare da cire duk wani zane ko hoto da ke da alaƙ da ɗarikar Orthodox. Kafin kammala babban masallacin Santambul a 1616, Hagia Sophia shi ne babban masallaci a birnin. Bayan yaƙin duniya na ɗaya a 1918, an ci Daular Othoman da yaƙi inda aka waɗanda suka ci ta da yaƙi suka karkasata. Masu fafutukar neman 'yanci daga baya suka tashi tsaye suka kafa kasa daga ɓurɓushin Daular Othoman wadda a yau ita ce Turkiyya. Shugaban ƙasar Turkiyya na wancan lokaci Mustafa Kemal Ataturk ya bayar da umarnin mayar da Hagia Sophia wurin tarihi. Tun bayan sake buɗe wurin a 1935, wurin ya kasance wurin da masu yawon buɗe ido suka fi ziyarta a ƙasar. Me yasa Hagia Sophia ke da amfani? Sakamakon tarihin wurin na sama da shekara 1,500, Hagia Sophia na da amfani a ɓangaren addini da siaysa da kuma wasu ƙungiyoyi da ke ciki da wajen Turkiyya. Ƙungiyoyin addinin musulunci da wasu muslmai na ta kiraye-kiraye kan batun sake mayar da wurin masallaci, inda kuma an ta gudanar da zanga-zanga kan hakan. Mutane da dama suna so a ba su damar gudanar da ibada a ginin A 1934, an kafa doka da ta haramta gudanar da duk wani abu da ya shafi addini a wurin. Shugaban ƙasar Erdogan ya yi irin waɗannan kiraye-kiraye a wani jawabi da ya yi lokacin yaƙin neman zaɓe a bara inda ya ce \"babban kuskure ne\" ,mayar da Hagia Sophia wurin tarihi, kuma tun a lokacin ya nemi masu taimaka masa da su duba yiwuwar yadda za a sake mayar da wurin masallaci."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55270114", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-55269425", "doc1": "মরক্কোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ব্যাপক সমর্থন আছে - গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে কাসাব্লাকায় বিক্ষোভ মরক্কো জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। চুক্তি অনুযায়ী, বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর যে দাবি, তাকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চল নিয়ে মরক্কো এবং আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের মধ্যে বিরোধ চলছে। পলিসারিও ফ্রন্ট সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গত অগাস্টের পর থেকে মরক্কো হলো চতুর্থ রাষ্ট্র, যারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে এলো। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদান এ ধরণের চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। অন্যদিকে মিসর ও জর্ডানের পর মরক্কো হলো আরব লীগের ষষ্ঠ সদস্য, যারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি এক পা এগিয়ে দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব, হতাশ ইসরায়েল মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ চুক্তিতে যা আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার টুইটারে এ চুক্তির কথা প্রকাশ করেন। \"আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে - মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রযাত্রা,\" জানান প্রেসিডেন্ট। চুক্তি অনুযায়ী, ২০০০ সালে তেল আবিব ও রাবাতে বন্ধ করে দেয়া দুই দেশের লিয়াজো অফিসগুলো পুনরায় চালু করা হবে। কর্মকর্তারা বলছেন যে মরক্কো ইসরায়েলিদের জন্য সরাসরি বিমান চলাচলের অনুমোদন দেবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যেও যোগাযোগ বাড়ছে বলে মনে করা হয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি মরক্কোর বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে, মরক্কোর বাদশাহর প্রাসাদ থেকে দেয়া বিবৃতিতে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয় যে টেলিফোনে মিস্টার ট্রাম্পের সাথে আলোচনার সময় সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাদশাহ সম্মতি দিয়েছেন। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন এই তিন আরব দেশ মরক্কো এবং ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ তাদের অধিকার হরণে ইসরায়েলকে আরও উৎসাহিত করবে।", "doc2": "Donald Trump ne ya sanar da yarjejeniyar a Twitter A ƙarkashin shirin, Amurka za ta amince Morocco ce ke da iko kan yankin Kudancin Sahara wanda aka dade ana takaddama a kai. Yankin na Yammacin Sahara ɓangarori biyu ne - Moroco da Polisario Front - ke ikirarin mallakinsa. Kungiyar Polisario Front ta dade tana neman kafa kasa mai cin gashin kanta a yankin. Morocco ce kasa ta hudu da ta mayar da dangantaka da Isra'ila tun watan Agusta. Amurkar ta jagoranci irin waɗannan yarjeniyoyin tsakanin Isra'ila da Hadaddiyar Daular Larabawa da Bahrain da kuma Sudan. Ban da Masar da Jordan, Morocco ce kasar Larabawa ta shida da ta mayar da dangantaka da Isra'ila. Me yarjejeniyar ta ƙunsa? Sarkin Moroko Mohammed VI (Hagu) da Benjamin Netanyahu, firaiministan Isra'ila Shugaban Amurka Donald Trump ne ya sanar da kulla yarjejeniyar ranar Alhamis a Twitter. Fadar White House ta ce Mista Trump da Sarki Mohammed na VI sun amince \"Morocco za ta mayar da dangantaka da Isra'ila domin fadada harkar ciniki da kasuwanci da kuma bangaren al'adun gargajiya tsakaninsu domin inganta zaman lafiya a yankin.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51788047", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51788646", "doc1": "মিলানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহর লক ডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অবস্থা এপ্রিলের প্রথম দিক পর্যন্ত থাকবে। দেশটিতে নাটকীয়ভাবে করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, যাদুঘর এবং স্কি রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বাণিজ্যিক কেন্দ্র মিলান এবং পর্যটকদের মূল আকর্ষণ কেন্দ্র ভেনিসে এই পদক্ষেপ এপ্রিলের তিন তারিখ পর্যন্ত চলবে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা এখন ২৩০ জন ছাড়িয়ে গেছে। কর্মকর্তারা বলছেন ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি মারা গেছে। নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার এক ধাক্কায় ১,২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫,৮৮৩ জন। লমবার্ডির পুরো উত্তর অঞ্চল যেখানে এক কোটি লোকের বাস, এবং ইতালির বাণিজ্যিক নগরী মিলান লক ডাউন বা বন্ধ রাখা হবে তবে জরুরি ভিত্তিতে কিছু করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হতে পারে। এছাড়া ১৪ টা প্রদেশের মধ্যে ভেনিস, পারমা এবং মোদেনা বন্ধ থাকবে যার ফলে এক কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রী জিউসেপে কন্টি বলেছেন, যেসব প্রদেশ আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে মোদেনা, পারমা, পিয়াসেনজা, রেজ্জিও এমিলিয়া, রিমিনি, পেসারো এবং আরবিনো, আলেসান্দ্রিয়া, অ্যাসটি, নোভারা, ভারবানো কিউসিও ওসোলা, ভারসেই, পাদুয়া, ট্রেভিসো এবং ভেনিস। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের মত মানুষ উত্তর ইতালিতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। ইরান থেকে ফেরত একজন যাত্রীর হাতে করোনভাইরাসের তথ্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতালিকে পরামর্শ দিয়েছে যাতে করে দেশটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে কঠিন নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই ব্যাপক মাত্রায় কোয়ারেন্টিন করার পরিকল্পনা চীনও করেছিল। যে পদক্ষেপকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কাজে আসায় প্রশংসা করেছিল। ইটালির প্রথম সারির রাজনীতিবিদ নিকোলা জিঙ্গারেত্তি বলেছেন, শনিবার তিনি টেস্ট করে দেখেছেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ইতালির মধ্য-বাম ডেমোক্রেটিক পার্টির এই নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, \"আমি ভালো আছি। কিন্তু কিছু দিন আমাকে বাড়িতে থাকতে হবে\"। কোয়ারেন্টিন ঘোষণার পর মানুষজন দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছে দেশটি বলছে, এই সংকট মোকাবেলায় যেসব ডাক্তার অবসরে গেছে তাদেরকে আবার কাজে লাগানো হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ইরান ৬ হাজার আক্রান্ত, ১৪৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। আর বিশ্বব্যাপী এক লক্ষের বেশি করোনায় আক্রান্তের খবর রয়েছে। ইরানে আরেকজন সংসদ সদস্য মারা গেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। বিশ্বের নানা দেশে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৫শ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। এর বেশিরভাগই চীনে। গত ডিসেম্বরে এখান থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে \"গভীর উদ্বেগের\" বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবং সব দেশকে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের সাম্প্রতিক চিত্র কী? দক্ষিণ কোরিয়া: রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন ৩৬৭ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে এখন ৭,১৩৪ জন আক্রান্ত। চীন: চীন জানুয়ারির পর থেকে একদিনে সবচেয়ে কম আক্রান্তের খবর দিয়েছে। উহানে আরো ২৭ জন মারা গেছে, যেখানে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। ইরান: ইরানে গত দিনে ২১ জন মারা গেছে। এছাড়া ১৬,০০০ জনের বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়াতে তিন জন মারা গেছে। অন্যান্য দেশের মধ্যে ফ্রান্সে ৯৪৯জন, জার্মানিতে ৭৯৫, স্পেন ৪৪১, যুক্তরাজ্যে ২০৬, নেদারল্যান্ডসে ১৮৮ জন আক্রান্ত। এদিকে কলাম্বিয়া, বুলগেরিয়া, কোস্টা রিকা, মাল্টা, দ্যা মালদিভাস, এবং প্যারাগুয়ে তাদের প্রথম আক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। আর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এই ভাইরাস আক্রমণের পর ৮০ হাজার বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চীনের কোয়ারেন্টিন হোটেল থেকে ৪৭ জন উদ্ধার, অনেকে এখনো আটকা বিবিসি বাংলার জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১০- রামমোহন রায় মোদীর ঢাকা সফরের পক্ষে-বিপক্ষে নানা অবস্থান", "doc2": "Jami'an sojoji da na 'yan sanda na shirin killace birnin Milan Wannan gagarumin sauyin lamarin ya biyo bayan kokarin da kasar ke yi ne domin dakile bazuwar cutar nan ta coronavirus, wanda ya hada da rufe makarantu da wuraren shakatawa da wanda jama'a da dama kan taru. Batun ya kai ga ahar an dakatar da dukkan bukukuwan aure da na binne matattu har sai bayan lokacin da hukumomin kasar suka diba. Italiya ce kasar Turai da cutar ta fi yi wa illa, wadda a ranar Asabar ta bayyana tashin goron zabi na wadanda suka kamu da cutar. Kuma sabbin matakan kariyar za su shafi birnin Milan wadda cibiyar kasuwanci ce da Venice wadda ta kasance wurin ziyara ga miliyoyin masu yawon bude idanu har ranar 3 ga watan Afrilu. Yawan wadanda suka rasa rayukansu sun kai fiye da 230, inda jami'ai a kasar ke cewa mutum fiye da hamsin sun mutu cikin kwana guda kawai. Yawan wadanda suke da kwayar cutar ya kai 5,883 daga 1,200 a ranar Asabar. Mutane a bisa layin sayen kayan abinci a Milan bayan da aka bayyana matakin killace yankin Matakan da gwamnatin Italiya ta sanar sun hada da hana shiga ko fita daga yankin arewacin kasar na Lombardy, yankin da mutum miliyan 10 ke zaune cikinsa. Milan shi ne babban birnin yankin. Za a kuma aiwatar da wannan hanin kan wasu larduna 14 da suka hada da Venice da Parma da Modena wadanda akwai jimillar mutum miliyan 16 cikinsu. Firai minista Conte ya ce lardunan da killacewar ta shafa su ne Modena, da Parma da Piacenza da Reggio Emilia da Rimini da kuma Urbino. Sauran su ne Alessandria da Asti da Novara da Verbano Cusio Ossola da Vercelli da Padua da Treviso da kuma Venice."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46250654", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46225031", "doc1": "সৌদি নারীদের ঘর থেকে বেরুতে হলেই আপাদমস্তক কালো পোশাকে ঢাকা পোশাক পরতে হয়। ইনসাইড-আউট আবায়া-হ্যাশট্যাগ দিয়ে তারা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছবি পোস্ট করছেন। সৌদি নারীরা তাদের এই অভিনব প্রতিবাদে আবায়া বা বোরকা উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করছেন। প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন। তাদের বেশিরভাগই সৌদি আরবেই বসবাস করেন। আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে এরশাদ কেন আবার সামরিক হাসপাতালে ভুয়া খবরের নকল ওয়েবসাইট: বন্ধ করার দায়িত্ব কার 'সৌদি যুবরাজই খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দেন ': সিআইএ সৌদি নারীরা কী ধরণের পোশাক পরতে পারেন? দশকের পর দশক ধরে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে সৌদি নারীদের পোশাক পরতে হয়। ঘরের বাইরে বেরুতে হলেই আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের বিশেষ পোশাক আবায়া বা বোরকা পরতে হয়। কিন্তু গত মার্চ মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন,\"নারীরা মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক পরবেন। এর মানে এই নয় যে, নারীরা আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের পোশাক বা আবায়া পরবেন।\" প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকা কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। এ ব্যাপারে শরীয়া আইনটি স্পষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক বলতে কি বোঝায়? সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য আসেনি। এছাড়া তার এই বক্তব্যের পরও নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিক কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি। সৌদি নারীরা সামাজিক নেটওয়ার্কে কী পোস্ট করছেন? হাওরা নামের একজন সৌদি নারী টুইটারে লিখেছেন, আপাদমস্তক ঢাকার কালো রঙের পোশাক আবায়া উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করে তারা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তারা নিজের চেহারা প্রকাশ করছেন না। কারণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করলে, সেটা তাদের জন্য হুমকি হতে পারে। তিনি আরও লিখেছেন, \"আমাদের সব সময় মুখ ঢাকার নিকাব এবং আবায়া পরে কাজ করতে হবে।এটা একজন মানুষের জন্য অনেক বড় বোঝা।\" আরেকজন নারী লিখেছেন, \"একজন সৌদি নারী হিসেবে এই পোশাকে আমি স্বাধীনতা অনুভব করিনা। আমি আইনের চাপে সব জায়গায় আবায়া পরতে বাধ্য হই।কিন্তু আমি আমার বাড়ির ভিতরে এটি আর নিতে পারি না।\" গত বছরে সৌদি বাদশাহ এক ডিক্রি জারি করে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখারও অনুমতি পেয়েছেন। তবে একইসাথে সৌদি কর্তৃপক্ষ নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারি অনেককে গ্রেফতার করে রেখেছে। সৌদি আরবে তিন বছর আগে নারীরা ভোট দিতে পেরেছেন। কিন্তু এখনও তাদের অনেক কাজে বাঁধা রয়েছে। সৌদি নারীরা এখনও স্বাধীনভাবে কোন কাজগুলো করতে পারেন না? সৌদি নারীরা তাদের পুরুষ অভিভাবক সাধারণত স্বামী, বাবা, ভাই বা পুত্রের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া অনেক কাজ করতে পারেন না। এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে.... . একজন সৌদি নারী তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। . পুরুষ অভিভাবকে অনুমতি ছাড়া কোন সৌদি নারী বাইরে ভ্রমণে যেতে পারেন না। . সৌদি নারীর বিয়ে করার ক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। . কোন সৌদি নারী নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলেও তাকে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। . একজন সৌদি নারীর ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। . কোন সৌদি নারীর কারাগার থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। অভিভাবকত্বের এই ব্যবস্থার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নারীরা যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। অন্যান্য খবর: 'নির্বাচনের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পেছানোর সম্পর্ক নেই' নির্বাচনের আগে এরশাদ কেন আবার সামরিক হাসপাতালে ড্রাইভিং সিটে সৌদি নারীর র‍্যাপ সঙ্গীত নিয়ে ঝড়", "doc2": "Dokoki sun tanadi matan Saudiyya su sanya suturar da za ta rufe jikinsu a bayyanar jama'a Wannan bore dai na gudana ne a shafukan sada zumunta da muhawara, kuma sun sanyawa maudu'in suna ''sanya abaya a bai-bai'', tare da wallafa hotunan mata sanye da abaya da kuma nikabin rufe fuska wadda suke korafin tana takura musu. A watan Maris da ya wuce, Yarima mai jiran gadon masarautar Saudiyya Muhammad bin Salman bin Abdul'azeez al-Su'ud ya bayyana cewa sanya doguwar abayar ba tilas ba ne ga matan kasar. Kusan mutane 5,000 ne daga ciki da wajen kasar suka ta tsokaci kan batun a shafin Twitter. Wace sutura matan Saudiyya za su sanya? Gwamman shekaru da suka gabata, hukumomin Saudi na da tsaurin ra'ayi kan suturar da matan kasar ke sanyawa wadda za ta rufe baki dayan jikinsu a bainar jama'a, inda suke sanya abaya matukar musulmi ne. Amma a watan Maris Yarima Muhammad ya ce mata ba sa bukatar sanya zumbuleliyar rigar, suna bukatar a dama da su a fagen suturar zamani matukar kayan ba sa nuna tsiraici don haka ba lallai sai sun sanya abaya ba. A wata hira da gidan talabijin na CBS Yariman ya ce \"dokokin addinin musulunci a bayyane suke, addinin ya amince mata su sanya tufafin da suka kaimuradi, abu mai muhimmanci shi ne dole su suturta jikinsu, kamar yadda aka umarci maza su aikata hakan.\" Bin Salman ya kara da cewa, \"Hakan ba yana nufin lallai sai sun sanya abaya ko bakin nikabin rufe fuska ba. Baki dayan zabi yana ga matan su zabi irin suturar da suke muradin sanyawa.\" Me matan Saudiyya ke wallafawa a shafukan sada zumunta? Wata mace mai suna Howra ta ce za ta fara sanya abaya a bai-bai domin nuna adawa da dokokin kasarta sannan idan har mata za su fita ba tare da abaya ba hakan na nufin babbar barazana ce gare su ta hanyar bayyanar da kansu ga jama'a. Howra ta kara da cewa \"Ya zama dole mu sanya abaya da nikabi a fuskarmu, saboda kullum abin da ake cewa shi ne muna aiki cakude da maza don haka dole ko ina a jikinmu ya rufu-ruf. Gaskiya wannan abun yana takura mana matuka.\" Amma wata matashiya mai suna Shafa ta wallafa cewa ''ina jin dadin sanya abayata a bai-bai.\" Shekarun baya da suka gabata dai matan Saudiyya sun fara sanya launuka daban-daban na abaya, ba kamar bakar abaya da kusan a iya cewa suka gada tun iyaye da kakanni ba. Sannu a hankali suka fara sanya abaya mai budadden gaba da ana iya ganin suturar da suka sanya a ciki kamar wando, ko dogon siket da sauransu kamar yadda wani rahoton kamfanin dillancin labarai na Reuters ya bayyana. A shekarar da ta gabata ne aka dage haramcin tuka mota da matan Saudiyya ke fama da shi, sai dai har yanzu yawancin matan da suka yi fafutukar tabbatar da hakan na garkame a gidajen kaso a kasar. Tun daga wancan lokacin ake zargin yarima Muhammad da bada umarnin kashe dan jarida da ya yi kaurin suna wajen sukar yadda yake tafiyar da mulkinsa wato Jamalk Khashoggi a ofishin jakadancin kasar da ke birnin Santambul na kasar Turkiyya, amma Saudiyya ta musanta batun. Wadanne abubuwa ne har yanzu matan Saudiyya ba za su iya aikatawa gaba-gadi ba? Akwai abubuwa da dama da matan Saudiyya ba za su iya aikatawa gaba-gadi ba har sai tare da muharammansu, ko dai mahaifi, ko dan uwa, ko kuma mijin aure wasu lokutan ma har da Da. Daga cikinsu akwai: Batun muharrami kafin mata su gudanar da wasu harkokin rayuwa, ya taka muhimiyar rawa wajen kara wawakeken gibi da rashin daidaito tsakanin maza da mata a yankin gabas ta tsakiya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-56982659", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56971360", "doc1": "ধর্মীয় সব আনুষ্ঠানিকতা পালনের মতো সময় আলমাস কদাচিৎ পান। আলমাস তার তিন সন্তানকে একা একা বড় করছেন এবং একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। সে কারণেই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখাটা তার কাছে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। \"আমি বিশেষ করে সপ্তাহান্তে তারাবীর নামাজ পড়বো বলে ঠিক করেছিলাম, যখন আমি একটু বেশি সময় পাই\", বলছিলেন তিনি। \"কিন্তু আমি যখন আমার স্থানীয় মসজিদের সঙ্গে কথা বললাম, তারা বললেন, মসজিদের ভেতর কোন বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং নারীকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।\" এরকম বিধিনিষেধের মধ্যে আলমাস একা পড়েননি। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনেক মসজিদ এই রমজান মাসে মসজিদে মেয়েদের জন্য যে আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা, সেটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশিরভাগ মসজিদ বলছে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারাবীর নামাজ পড়তে হয় কেবল রমজান মাসে। কিন্তু আলমাসের মতো নারীরা যে কেবল তারাবীর নামাজ পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়, অনেকে তাদের মসজিদে নামাজই পড়তে পারেন না, এমনকি শুক্রবারের জুমার নামাজও নয়। \"দ্বিতীয় শ্রেণি\" বাড়িতে যদিও অনেক পরিবার এক সঙ্গেই নামাজ পড়ে, মসজিদে সাধারণত নারী-পুরুষকে আলাদাভাবে নামাজ পড়তে হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন, এর ফলে তারা নামাজে আরও বেশি করে মনঃসংযোগ করতে পারেন। আরও পড়ুন: ব্রিটেনে মসজিদ পরিচালনায় কিভাবে অংশ নেবে নারী? সুইস গণভোটে মুসলিমদের বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধের পক্ষে রায় ব্রিটেনের মসজিদগুলোতে অমুসলিমদের আজ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসের সময় নিরাপদে রোজা রাখবেন যেভাবে ব্রিটেনের কিছু মসজিদে নারীদের জন্য নামাজ পড়ার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা আছে। অনেক সময় একই জায়গাতেই পুরুষের পেছনে নারীরা নামাজ পড়েন। তবে সচরাচর মসজিদে পুরুষ এবং নারীর জন্য নামাজ পড়ার স্বতন্ত্র কক্ষ থাকে। প্রধান হলটিতে পুরুষরা নামাজ পড়েন, আর নারীদের জন্য থাকে বিকল্প একটি কক্ষের ব্যবস্থা। তবে সব মসজিদে আবার মেয়েদের জন্য আলাদা রুম থাকে না। ব্রিটেনে যত মসজিদ আছে, তার এক চতুর্থাংশে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা নেই। আর যেসব মসজিদে এরকম ব্যবস্থা আছে, সেখানে পুরুষ এবং নারীদের জন্য বরাদ্দ করা জায়গা সমান নয়। মসজিদগুলোতে সবার সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে 'ওপেন মাই মস্ক' নামের একটি সংস্থা। যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন অনিতা নায়ার। তার মতে, মসজিদে সাধারণত নারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয় কোন \"দ্বিতীয় শ্রেণির\" জায়গা। এটি পুরুষদের নামাজ পড়ার জায়গার তুলনায় ছোট, কখনো বেজমেন্টে (মাটির নিচের তলায়), কোন তালাবদ্ধ দরোজার পেছনে অথবা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় এমন কোন জায়গায়। আর মেয়েদের এই নামাজ পড়ার জায়গা হয়তো খোলা থাকে কেবল বিশেষ কোন সময়ে। মহামারির কারণে এই সমস্যা এখন আরও জটিল হয়েছে। \"আমরা এমন রিপোর্ট পেয়েছি যে এই মহামারির সময়, অনেক মসজিদ, যেখানে আগে মেয়েদের নামাজ পড়তে দেয়া হতো সেখানে তাদের এখন বাদ রাখা হয়েছে যাতে করে পুরুষরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়তে পারে। তাদের ধারণা, মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গায় এসব নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা তারা করতে পারবে না,\" বলছেন তিনি। বিবিসি ব্রিটেনের ২৯টি বড় মসজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রমজান মাসে তাদের এ সংক্রান্ত নীতি আসলে কী তা জানতে। এই ২৯টি মসজিদের মধ্যে ৫টিতে নারীদের জন্য নামাজ পড়ার আলাদা কোন জায়গার ব্যবস্থাই নেই। ছয়টি মসজিদ বলেছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধির কারণে তারা মসজিদে নারীদের নামাজ পড়তে দিতে পারছে না। ১২টি মসজিদ নারীদের জন্য খোলা আছে, আর ৭টি মসজিদ বিবিসির প্রশ্নের কোন জবাব দেয়নি। এর মধ্যে আছে লন্ডনের গ্রীনিচ ইসলামিক সেন্টার এবং বায়তুল ফাতাহ মসজিদ, লুটনের জামিয়া আল আকবরিয়া এবং স্কটল্যান্ডের লানার্কশায়ার মসজিদ। আলমাসের মসজিদটির নাম মিল্টন কিন্স ইসলামিক সেন্টার। কেন এটি মেয়েদের জন্য খোলা নেই, বিবিসির এই প্রশ্নে কোন মন্তব্য করতে শুরুতে তারা রাজি হয়নি। তবে এই সেন্টার থেকে পরে জানানো হয়, তারা মেয়েদের নামাজ পড়ার জন্য খোলা আছে, তবে সীমিত আকারে। তাদের ওয়েবসাইটে যে ২০২১ সালের রমজানে মসজিদে \"বয়স্ক, শিশু এবং নারীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না\" বলে উল্লেখ আছে, সেটি নাকি কেবল একটি পরীক্ষামূলক সময়ের জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু আলমাস বলছেন, \"যেটা খুব হতাশাজনক, তা হচ্ছে, মসজিদটির নিচ তলায় মেয়েদের জন্য একটি নির্ধারিত জায়গা এবং তিনটি বড় রুম আছে। আমি এই মসজিদে আসে এমন অনেক নারীকে চিনি, যারা বিধবা এবং যারা তাদের সন্তানের সঙ্গে থাকেন না। অনেক নারী আছেন, যাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে।\" \"এই সিদ্ধান্ত যদি আমার ওপর প্রভাব ফেলে থাকে, আমি কল্পনা করতে পারি এসব নারীর ওপর এর কী প্রভাব পড়ছে।\" \"এটা করা সম্ভব\" ব্রিটেনের মসজিদগুলোতে নারীদের আরও বেশি প্রবেশাধিকারের দাবিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন জুলি সিদ্দিকী। তিনি তার নিজের মসজিদের একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। লন্ডনের কাছে স্লাও এলাকার জামিয়া মসজিদ এন্ড ইসলামিক সেন্টারটি রমজান মাসে মেয়েদের জন্য খোলা নেই। ইনস্টাগ্রামে এটি শেয়ার করার পর তিনি ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকার নারীদের কাছ থেকে একই ধরনের অভিজ্ঞতার শত শত বার্তা পেয়েছেন। তিনি বলেন, \"স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমি বুঝতে পারি। আমাদের মসজিদে অনেক জায়গা আছে, মসজিদের মধ্যে অবশ্যই নারীদের জন্য ব্যবস্থা করা সম্ভব। কাজেই একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার- এটা আসলে কোভিডের ব্যাপার নয়, তার চেয়ে ভিন্ন কিছু। এটি আসলে মানসিকতার ব্যাপার। পুরুষরা এই মানসিকতার কারণেই আসলে ধরে নেয় যে মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবে কীনা, সেটা তারা ঠিক করে দিতে পারে।\" তবে জুলি সিদ্দিকীর মসজিদ বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল মসজিদের নারী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে পরামর্শের পর। এই স্বেচ্ছাসেবকরা বলেছিল, নারীদের জন্য যেরকম ব্যবস্থাদি থাকা দরকার, সেটা নিয়ে তাদের উদ্বেগ ছিল। মসজিদটি বলছে, তারা কোন স্বেচ্ছাসেবককে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে না। লন্ডনে রমজান মাসে তারাবীর নামাজ পড়তে যাচ্ছেন দুই মুসলিম নারী রমজান মাসে নারীদের মসজিদে ঢোকার ওপর বিধিনিষেধ জারি করা আরেকটি মসজিদ, লণ্ডনের বায়তুল ফাতাহ মসজিদ জানায়, মেয়েদের মসজিদে এসে জামাতে নামাজ পড়তে হবে, ইসলামে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু পুরুষদের জন্য এরকম নিয়ম আছে। কিছু মুসলিম বিশ্বাস করেন, প্রতিদিন জামাতে নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক, কিন্তু মেয়েদের জন্য ব্যাপারটা ঐচ্ছিক। তারা ঘরে নামাজ পড়তে পারেন। এক বিবৃতিতে মসজিদটি জানিয়েছে, \"বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই নারীরা আবার মসজিদে এসে নামাজ পড়তে পারবেন।\" লেস্টারের একটি মসজিদের একজন ইমাম শেখ ইব্রাহীম মোগরা বলেছেন, \"মসজিদে নারী এবং পুরুষের উভয়ের নামাজ পড়ার জন্য সমান ব্যবস্থা রাখতে হবে।\" তবে তিনি একথাও বলেন, \"কোন কোন রীতিতে মেয়েদের মসজিদে এসে নামাজ পড়ার পরিবর্তে ঘরে বসেই নামাজ পড়া শ্রেয়তর বলে মনে করা হয়। কাজেই এই বিষয়ে মুসলিমদের অবস্থান দ্বিধাবিভক্ত।\" কিছু মসজিদ অবশ্য তাদের অবস্থান বদল করেছে। হাউন্সলো জামিয়া মসজিদ এন্ড ইসলামিক সেন্টার শুরুতে কেবল পুরুষদের জন্য খোলা থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু রমজান মাসে মসজিদে মেয়েদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যখন অনলাইনে নানা আলোচনা শুরু হলো, তখন মসজিদটি তাদের অবস্থান বদলায়। মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের প্রেসিডেন্ট জারা মোহাম্মদ বলেছেন, তাদের পরামর্শ হচ্ছে মসজিদে যেন নারী এবং পুরুষ- উভয়ের জন্যই সমান এবং ন্যায্য ব্যবস্থা রাখা হয়। \"এটি রমজান বা বছরের অন্য যে কোন সময়ের জন্যই।\" তিনি বলেন, \"মসজিদের উন্নয়ন এবং এর ভূমিকা নির্ধারণে নারীকেও যুক্ত করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপে উৎসাহ দেই। মসজিদে নারীরা যেন আরও বেশি করে যেতে পারে এবং তাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করা যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনায় উৎসাহ দেই।\" শিরিন খানকান ডেনমার্কের কোপেনহাগেনের মারিয়াম মসজিদের মহিলা ইমাম।", "doc2": "Da kyar Almas ke samun lokacin yin ibada. Bazawara ce mai 'ya'ya uku kuma tana karatun digiri a jami'a. Dalilin da ya sa kenan take kallon Ramadan a matsayin wata dama ta musamman. \"Na yi ta hanƙoron fara sallar Tarawihi musamman a ƙarshen mako, lokacin da muke da isasshen lokaci,\" a cewarta. \"Sai dai da na tuntuɓi masallacin unguwarmu sai suka ce 'ban da tsofaffi, ban da yara, ban da mata'.\" Ba Almas kaɗai ba, sauran masallatai da yawa a faɗin Birtaniya sun yanke shawarar hana mata shiga a wannan watan. Akasari sukan ce saboda annobar korona. Mata irinsu Almas ba wai sallar Tarawihi kaɗai suke gaza yi ba, wadda nafila ce da ake yi a watan Ramadan, da yawa ba sa iya yin ibadar ma gaba ɗaya a masallatai, ciki har da Juma'a. 'Marasa gata' Yayin da iyalai da dama ke yin sallarsu a gida, da alama ibada a masallatai na ta'allaƙa ne da jinsin mutum, inda mutane da yawa ke ganin cewa hakan yana ba da damar natsuwa wajen gudanar da ibadar ga maza. Wani lokaci mata kan yi sallah a bayan maza a wuri ɗaya. Sai dai akasari akan samar da ɗaki biyu ne na maza daban na mata daban, yayin da maza ke yin sallah a ainahin masallacin su kuma mata a keɓaɓɓen wuri kuma ƙarami. Amma ba duka masallatai ne ke ware wurin mata ba. Fiye da ɗaya cikin huɗu na masallatai a Birtaniya ba su da ɓangaren mata. A wuraren da babu ɓangaren mata, akasari girman wurin yana bambanta. Anita Nayyar, wadda ke fafutikar Open My Mosque don nema wa mata 'yancin addini, ta ce da yawa ana bai wa mata \"kujerar baya\" ne. ta ce ɓangarensu ya yi ƙanƙanta, inda ake ba su wurare kamar gidan ƙasa ko kullellun ɗakuna ko kuma fili fetal. Ita ma annobar korona ta ta'azzara lamarin. \"A lokacin dokar kulle, mun samu rahotanni cewa masallatan da mata ke zuwa sun hana su shiga, ko dai don su bi dokokin bayar da tazara ga maza ko kuma dai ba za su iya tabbatar da dokar ba a ɓangaren matan,\" in ji ta. BBC ta tuntuɓi manyan masallatai guda 29 a Birtaniya domin jin tsare-tsarensu na watan Ramadan. Biyar dagaa ciki ba su da ɓangaren mata, yayin da shida suka ce ba za su iya barin mata ba saboda kariya daga annobar korona. Guda 12 sun bar mata, amma bakwai daga ciki ba su ba mu amsa ba. Daga cikin masallatan akwai Greenwich Islamic Centre da Baitul Futuh na Landan da Jamia Al-Akbaria da ke Luton Masallacin Lanarkshire da ke Scotland. Masallacin su Almas mai suna Milton Keynes Islamic Centre bai amsa buƙatar BBC ba da farko, amma daga baya ya ce ya hana mata da yara da tsofaffi shiga yayin wani \"matakin gwaji\". \"Abin haushi shi ne akwai ɓangaren mata da kuma manyan ɗakuna uku a ƙasa,\" Almas ta bayyana. \"Akwai matan da na sani a masallacin waɗanda zawararwa ne da ba sa tare da yaransu da kuma masu fama da lalurar ƙwaƙwalwa. \"Yadda abin ke damuna, ina mamakin yadda zai dami sauran waɗannan matan su ma.\" \"Abu ne da za a iya yi\" Julie Siddiqi, wata mata mai fafutikar sama wa mata masallatai a Birtaniya, ta wallafa wani bidiyo a shafinta na Instagram tana kokawa kan yadda masallacin unguwarsu Jamia Masjid and Islamic Centre suka ƙi barin mata shiga a Ramadan ɗin nan. Ɗaruruwan mata a Birtaniya sun tura mata saƙon cewa su ma suna fuskantar irin wannan halin. \"Na fahimci cewa akwai maganar kiwon lafiya,\" in ji ta. \"Amma masallacinmu na da girma sosai. Abu ne mai yiwuwa a masallacin. Magana ta gaskiya wannan abin ya fi ƙarfin korona. Da gangan ne kawai, aƙida ce cewa maza ne za su yanke hukuncin ko mata za su iya zuwa masallaci ko a'a.\" Masallacin nata sun faɗa wa BBC cewa sun ɗaukji matakin ne bayan sun tuntuɓi wasu mata 'yan sa-kai \"waɗnda ke da burin haɓaka harkokin mata\". Ya ce ba zai so ya saka masu fafutikar cikin haɗari ba. Masallacin Baitul Futuh da ke Landan ya ce ba \"wajibi ba ne a Musulunci mata su yi sallar jam'i a masallaci, wajibin na maza ne\". Musulunci ya sharɗanta cewa sallar jam'i dole ce maza, amma ba dole ba ce kan mata waɗanda za su iya yin ta a gida. \"Da zarar an cire dokokin kulle mata za su ci gaba da zuwa masallaci don gudanar da ibadu,\" a cewar masallacin cikin wata sanarwa. Sheikh Ibrahim Mogra, wani limami a Leicester, ya ce \"ya kamata a bai wa maza da mata damar shiga masallaci\", yana mai cewa: \"Wasu malaman sun ce zai fi kyau mata su yi sallah a gida fiye da masallaci, saboda haka akwai saɓani.\" Wasu masallatan sun sauya shawara. Da farko Masallacin Hounslow Jamia Masjid and Islamic Centre ya tsara maza ne kawai za su yi sallah, amma ya sauya bayan an fara tattauna matsalar rashin zuwan mata masallataia a intanet a farkon Ramadan. Zara Mohammed, shugabar ƙungiyar Musulmai ta Birtaniya, ta ce kiran da suke yi shi ne a bai maza da mata damar amfani da masallaci - \"a watan Ramadan ko kuma wajensa\". \"Dole ne a saka mata cikin shirin tafiyar da masallatai kuma muna ƙarfafa gwiwar ci gaba da tattaunawa mai amfani domin samar wa mata ƙarin damarmaki.\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45702789", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48336319", "doc1": "আগামী সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নানা ঘটনা এখানে তেমন কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করা হলো যেগুলো হয়তো আগামী সপ্তাহে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়বে। ১. ব্রাজিলের নির্বাচন বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার। কিন্তু কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? এর কারণ হলো প্রেসিডেন্ট পদটির জন্য লড়াই হচ্ছে তুমুল। এর মধ্যে একজন প্রার্থী ইতোমধ্যে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন। এই প্রার্থী সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেইর বলসোনারো লড়ছেন ডানপন্থী সোশ্যাল লিবারেল পার্টির হয়ে। সমকাম ও নারী ইস্যুতে তার বক্তব্যের জন্য ইতোমধ্যেই তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেছিলেন সমকামী হলে তার সন্তানকে তিনি ভালোবাসবেননা। যদিও অপরাধ বিষয়ে তার অবস্থান অনেকের সমর্থন কুড়িয়েছে। আর জনমত জরিপগুলোতেও তার এগিয়ে থাকার তথ্য মিলছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সাওপাওলো শহরের সাবেক মেয়র ফার্নান্দো হাদ্দাদ। মেলনিয়া ট্রাম্প ২. একাকী ভ্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প আফ্রিকা ভ্রমণে যাচ্ছেন এবং এ সফরে তিনি ঘানা, মালাওয়ি, কেনিয়া ও মিসরে যাবেন। এ সফরটি গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ এটিই তার বড় ধরণের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ ফার্স্ট লেডি হওয়ার পর। এর আগে একটি সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি ক্যানাডা গিয়েছিলেন। সে কারণেই সবার দৃষ্টিতে থাকবে এবারের সফর যাতে সবাই তাকে পর্যবেক্ষণ করবেন যে কিভাবে তিনি আমেরিকাকে উপস্থাপন করেন। আরেকটি বিষয় হলো তার স্বামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আফ্রিকা সফরে যাননি। ৩. আতঙ্কিত হবেননা বুধবার প্রতিটি আমেরিকান তাদের মোবাইলে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে একটি জরুরি বার্তা পাবেন। তবে এটি আসলে একটি পরীক্ষা নিরীক্ষা যদিও এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে এজন্য যে বড় দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থায় সারাদেশে একযোগে বার্তা পাঠিয়ে সবাইকে সতর্ক করা যায় কি-না সেটি দেখার জন্য। যদিও অনেকে ইতোমধ্যেই বিরক্ত হয়ে ওই সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। দু কোরীয়ার দু নেতা ৪. কিম জং আন- নোবেল পাচ্ছেন? শুক্রবারই জানা যাবে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন কে? এ পুরস্কারটি প্রতিবারই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীর জন্য জোটেনা। গত বছরেই পুরস্কারটি পেয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান- যারা পারমানবিক অস্ত্র বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন শান্তি পুরস্কার জিতে নিতে পারেন। আর এটি আসতে পারে কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা কমাতে তাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগের কারণে। প্রেসিডেন্ট মুন অবশ্য মনে করেন অন্য কারই এ পুরস্কার জেতা উচিত। জোডি হোয়াইটেকার অভিনয় করেছেন ডাক্তার হিসেবে ৫. চিকিৎসকের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট অভিনেত্রী জোডি হোয়াইটেকারই প্রথম এবং তিনি নিজেকে রোববার অভিষিক্ত করতে যাচ্ছেন টাইম লর্ড (নাকি টাইম লেডি?) হিসেবে। দ্যা ওমেন হু ফেল টু আর্থ মুভিতে তিনি অভিনয় করবেন চিকিৎসক হিসেবে। গত জুলাইতে তিনি এ চরিত্রটি নিশ্চিত করেছিলেন এবং এরপর থেকেই এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে তার ভক্তদের কাছ থেকে। এখন অবশ্য শুধু উপভোগের বিষয় হবে এটি যে তিনি কিভাবে টাইম ও স্পেসের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন : ‘একটা বই নিয়ে এত ভয় কেন?' বিচারপতি সিনহা জীবনে যা হতে চেয়েছিলেন সেটা কি পূরণ হয়েছে? মিশরের স্কুল থেকে মিকি মাউস কেন বাদ দেয়া হচ্ছে", "doc2": "Ga dai wasu abubuwa masu muhimmanci da ake sa ran za su faru a duniya a wannan makon. 1) Za a bayyana sakamakon zabe mafi girma a duniya Za a bayyana sakamakon karshe ne a ranar Laraba Bayan an kwashe lokaci mai tsawo ana kada kuri'a a babban zaben kasar Indiya, za a bayyana sakamakon karshe ne a ranar Laraba 23 ga watan Mayu. Wannan ne zabe mafi girma da aka taba gani a fadin duniya - inda mutum miliyan 900 suka cancanci kada kuri'a - wato wannan adadin da ya dara yawan jama'an nahiyar Turai da kasar Australia. Masu kada kuri'a za su zabi mutum 543 ne wadanda za su wakilce su a majalisar wakilan kasar. Sai dai sakamakon farko yana nuna jam'iyyar Firai Minista Narendra Modi (BJP) ta kama hanyar samun nasara - kodayake wasu masu sharhi suna ganin hasashen ba lalle ne ya zama gaskiya ba. 2) Za a yi zaben kungiyar Tarayyar Turai Daga ranar Laraba 23 zuwa Lahadi 26 ga watan Mayu, kasashen da ke kungiyar Tarayyar Turai za su kada kuri'arsu. Kasashe mabobin kungiyar za su zabi wakilai fiye da 700 don wakiltar u a majalisar dokokin kungiyar. 3) Shugaba Buhari zai koma Najeriya Ba wannan ne karon farko da shugaban ya fara kai ziyara Saudiyya ba A ranar Talata ne Shugaban Najeriya Muhammadu Buhari zai koma gida bayan gudanar Umarah a kasar Saudiyya. A wata sanarwa da fadar shugaban ta fitar a shafinta na Twitter a makon jiya, ta ce Sarki Salman Bin Abdulaziz ne ya gayyaci Buhari don gudanar da aikin ibadan. \"Ana sa ran zai koma gida Najeriya ranar Talata 21 ga watan Mayu,\" kamar yadda fadar shugaban ta bayyana. 4) Za a san zakarun Gasar Copa del Rey a Spain A ranar Asabar ne za a san zakarun Gasar Copa del Rey na bana, bayan an buga wasan karshe tsakanin Barcelona da Valencia a filin wasa na Benito Villamarínm a kasar Spain. Barcelona ce ta lashe Gasar La Liga ta bana, yayin da Valencia ta kare a matsayi na hudu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46436249", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46439236", "doc1": "ইউটিউব থেকে এই সাত বছরের শিশুটি আয় করেছে ১৭৬ কোটি টাকা। ইউটিউব থেকে এই সাত বছরের শিশুটি আয় করেছে ১৭৬ কোটি টাকা। ফোর্বস ম্যাগাজিন ধারণা করছে, জুন মাস নাগাদ এই শিশুটির ইউটিউব চ্যানেল 'রায়ান টয়'স রিভিউ' টপকে যাবে এখনকার ইউটিউবের সেরা তারকা জ্যাক পলকে। আয়কর বা এজেন্টদের ফি ছাড়া রায়ানের আয় গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরো পড়ুন: ইউটিউবে খেলনা দেখিয়ে কোটিপতি ছয় বছরের রায়ান এনবিসি চ্যানেল রায়ানের কাছে জানতে চেয়েছিল, শিশুরা কেন তার ভিডিওগুলো দেখতে পছন্দ করে? রায়ানের উত্তর, ''কারণ আমি মজা করতে পারি।'' রায়ানের বাবা-মা ২০১৫ সালে ওই চ্যানেলটি তৈরি করে। এরপর এখানকার ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটিবার দেখা হয়েছে । এসব চ্যানেলের ১ কোটি ৭৩ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। 'ফোর্বস' বলছে, ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকেই ২১ মিলিয়ন ডলার (৮০ টাকা ডলার হিসাবে ১৬৬ কোটি টাকা) আয় করেছে রায়ান। এই ভিডিওতে যেসব খেলনা বর্ণনা তুলে ধরা হয়, সেসব খেলনা খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ 'গুজব রোধে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হতে পারে' ব্যাঙ্গালোরে 'অবৈধ বাংলাদেশী' তকমা দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান রাঙ্গা জাপা মহাসচিব: কেন সরানো হলো হাওলাদারকে? রায়ানের ইউটিউব চ্যানেল। গত অগাস্ট মাস থেকে 'রায়ান'স ওয়ার্ল্ড' নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এখানে একটি ভিডিও দেখানো হয় যে, রায়ান এবং তার বাবা-মা নিজেদের খেলনা খুঁজছে, যে ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিনমাসের মধ্যে প্রায় দেড়কোটি বার দেখা হয়েছে। ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে বলছে ফোর্বস। শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে। রায়ানের একজোড়া জমজ বোনও রয়েছে। রায়ানের পরিবার নামে কিছু ভিডিওতে তাদেরও দেখা যাবে। 'রহস্য বালক' ইন্টারনেটে খুবই পরিচিত মুখগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও রায়ানের পরিচয় নিয়ে রয়েছে ব্যাপক রহস্য। তার নামের শেষাংশ কী, রায়ান কোথায় থাকে, কেউ জানে না। রায়ানের বাবা-মা মাত্র অল্প কয়েকবার গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে রায়ানের মা দাবি করেছেন যে, যখন তার ছেলের বয়স মাত্র তিন বছর, তখন এই ইউটিউব চ্যানেল করার আইডিয়া রায়ানই দিয়েছিল। তবে রায়ানের মা নিজেও তার নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি। ইউটিউবে রায়ানের প্রথম ভিডিওটি ছিল প্লাস্টিকের ডিম ভেঙ্গে সেখান থেকে খেলনা বের করা। আশি কোটি বার এই ভিডিও দেখা হয়েছে। তার ভিডিও চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে এক কোটি মানুষ। রায়ানের ভিডিওর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার স্বতস্ফূর্ততা। নিত্য নতুন খেলনা নিয়ে সে যেভাবে খেলে, সেটা লোকে পছন্দ করে। একটি রিভিউতে বলা হচ্ছে, \"রায়ান যেভাবে তার খেলনার প্যাকেট খোলে, তখন সেটি একটি নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করে।\"", "doc2": "Dalolin da Ryan ke samu sun rubanya wadanda ya samu a bara Mujallar Forbes ta Amurka ta kiyasta cewa yaron mai suna Ryan mai shafin Ryan ToysReview ya doke Jake Paul da dala 500,000 a karshen shekarar da suka auna wadda ta kare a watan Yuni. A kan wallafa bidiyo a kusan kowace rana, inda wani sabon bidiyon da Ryan ya fito a ciki yana tallata wani katafaren kwai ya sami masu kallonsa da suka zarce mutum miliyan daya daga Lahadi zuwa Talata. Shafin The Dude Perfect kuma shi ne na uku da dala miliyan 20, in ji mujallar ta Forbes. Kudaden da Ryan ya samu a bana sun nunka na bara bayan an cire haraji da kamashon da yake biyan lauyoyinsa da sauran masu yi masa hidima. Da tashar NBC ta Amurka ta tambaye shi dalilin da yasa yara ke son kallon bidiyonsa, sai ya ce: \"Saboda na iya nishadantar da su, kuma ni bai ban dariya ne\". Tun da iyayensa aka bude shafin nasa a watan Maris na 2015, bidiyon da aka wallafa an kalle su kusan sau biliyan 26, kuma shafin na da mabiya miliyan 17,300,000. Mujallar ta Forbes ta kuma ce yana samun miliyan 21 cikin miliyan 22 ne daga tallace-talacen da a kan sanya a cikin bidiyon da a ke wallafawa, inda yake samun sauran miliyan daya kuma daga masu daukar nauyin shirin nasa. A cikin bidiyon na Ryan ya kan yi bayani kan sababbin kayan wasan yara Da yake har yanzu karamin yaro ne, a kan adana wa Ryan kashi 15 cikin 100 na kudaden da yake samu a asusun ajiya a banki har zuwa lokacin da ya girma. Shafin Ryan ToysReviews ya hau mataki na daya daga mataki na takwas a bara Su ma 'yan uwan Ryan wadanda tagwayen 'yan mata ne sun rika fito wa a shafin nasa. Sun fito a wani bidiyo da ke bayyana wa yara yadda ake gudanar da sinadarai na kimiyya, inda Ryan da 'yan uwan nasa suka fito kuma aka kalle shi fiye da sau miliyan 26."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51559302", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51535268", "doc1": "ব্যবহৃত ভুয়া একটি ছবি বিভিন্ন ভঙ্গিতে যেসব নারীদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে তারা পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সৈন্যদের কাছে অল্প বয়সী নারীদের নকল ছবি পাঠানো হয়েছিল। সেগুলো খুলে দেখার সাথে সৈন্যদের অজান্তে তাদের মোবাইলে একটি অ্যাপ হয়ে যায়। হ্যাকাররা ভুল হিব্রু ব্যবহার করেছে। ওই নারীরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অথবা বধির এমনটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বন্ধুত্ব হওয়ার পর সেনাদের একটা লিংক পাঠানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে এটির মাধ্যমে তারা একে অপরকে ছবি পাঠাতে পারবে। লিংকে ক্লিক করার পর ফোনে ম্যালওয়ার ডাউনলোড হয়ে গেছে। এর ফলে ফোন গুলোতে এমন এক ভাইরাস ইন্সটল হয়েছে যা দিয়ে ফোনের সকল ছবি, ফোন নম্বর, তথ্য ও অবস্থান জানা সম্ভব। এই ভাইরাস দিয়ে ফোন ব্যবহারকারীর অজান্তে সেটি দিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও করা সম্ভব। ওই মুখপাত্র বলছেন, তাতে অবশ্য তেমন কোন গোপন তথ্য তারা নিতে পারেনি। গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস ও ইসরাইল একে অপরকে চিরশত্রু বলে মনে করে। তারা নিয়মিত একে অপরের গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে চেষ্টা করে। আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল কাছাকাছি সময়ে এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো হামাস এমন তথ্য চুরি করতে সৈন্যদের মোবাইল ফোনে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জনাথান কর্নিকাসের মতে, একটি ছিল কৌশলগত দিক থেকে সবচাইতে অগ্রসর। তিনি বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে আগের থেকে আরও অনেক কিছু শিখেছে। এর আগে এমন বিষয়ে সৈন্যদের সাবধান করা হলেও দেখা যাচ্ছে তাতে অনেকেই কান দেননি।", "doc2": "Daya daga cikin hotunan da ake zargin kungiyar Hamas ta yi amfani da su a lokacin kutse Rundunar sojin Isra'ila, ta bayyana cewa mayakan sun ta turo hotunan 'yan mata ta wayoyin sojojin inda suke jan hankalinsu domin sauke wata manhaja a wayoyinsu, ba tare da sanin cewa manhajar ba ce za ta bayar da damar yin kutse a wayoyinsu. Mai magana da yawun rundunar sojin ya shaida cewa mayakan ba su samu wasu muhimman bayanai daga wayoyin ba har zuwa lokacin da aka gano su. Kungiyar Hamas wadda ke da iko da Gaza ta dade tana 'yar tsama da Isra'ila. Wannan ne karo na uku a cikin shekarun nan da Hamas din ke kokarin yin kutse ga wayoyin sojojin Isra'ila kuma kutsen da suka yi a wannan karon ya fi rudani, in ji Laftanar Kanal Jonathan Conricus. ''Mun ga alama suna kara jajircewa wajen wannan wasan nasu,'' in ji shi. Kanal Conricus ya ce masu kutsen sun yi shigar burtu a matsayin 'yan mata 'yan ci rani inda suke amfani da yaren Hebrew wanda da sojojin sun karanta rubutunsu, sai su dauka kamar baki ne da ba su goge sosai a yaren ba. Bayan sun amince da matan kuma abota ta yi nisa, matan sukan aika wa sojojin hotunansu, wanda da zarar sun sauke hotunan a wayoyinsu, sai su samu damar yin kutse a wayoyin sojojin. Idan suka yi kutse a wayoyin, za su samu damar daukar hotuna da kuma sautin murya ba tare da masu wayoyin sun sani ba. Isra'ila da Hamas na cikin wani rikici wanda ya ki ci ya ki cinyewa kuma duka suna kokarin tattara bayanan sirri tsakanin junansu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50798003", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50813377", "doc1": "২০১৩ সাল থেকে আর্সেনালে খেলছেন মেসুত ওজিল শুক্রবার মেসুত ওজিলের করা টুইট সম্পর্কে দেয়া এক বিবৃতিতে আর্সেনাল বলেছে, \"সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসুত ওজিলের করা মন্তব্য তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন করে, এর সাথে ক্লাবের মতাদর্শের কোনো সম্পর্ক নেই।\" \"আর্সেনাল সবসময়ই একটি অরাজনৈতিক সংগঠন\", বলা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। লন্ডনের ক্লাবটির এই বিবৃতি চীনের সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে প্রকাশিত হয়েছে। ওজিল তার পোস্টে চীনের উইগার মুসলিমদের 'নির্যাতনের প্রতিরোধকারী যোদ্ধা' বলে প্রশংসা করেন এবং চীনের কর্তৃপক্ষ ও উইগারদের পক্ষ না নেয়া মুসলিমদের সমালোচনা করেন। ওজিলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা আর্সেনালের পোস্টে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সমর্থন প্রকাশ করেছে। অনেকেই ওজিলের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রতি। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাস্কেটবল দলের একজন কর্মকর্তা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের অবনতি সম্পর্কে মন্তব্য করলে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্র বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন। আরো পড়ুন: মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের ভারতের রাডার সিস্টেম দিয়ে নজরদারি বিদেশী ফুটবলাররা চীনের নাগরিক হচ্ছে যে কারণে সেসময় হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে একটি টুইট করেছিলেন হিউস্টন রকেটসের ম্যানেজার ড্যারিল মোরে। ঐ টুইটের পর চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো বাস্কেটবলের স্পন্সরশিপ চুক্তি বাতিল করে দেয় এবং টেলিভিশনে খেলা দেখানোও বন্ধ করে দেয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে চীনে মুসলিম উইগার সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লাখ মানুষকে কোনো বিচার ছাড়াই কড়া নিরাপত্তায় বিশেষ ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। তবে চীনের দাবি, উইগার মুসলিমরা যেন ধর্মীয় জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেলক্ষ্যে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন সংগ্রাম সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা", "doc2": "Ozil ya ce Musulmin Uighur \"jarumai ne masu yaki da zalunci\" Ozil wanda Musulmi ne, ya siffanta Musulman kabilar ta Uighur da cewa \"jarumai ne masu yaki da zalunci\" a shafinsa na sada zumunta. Sannan kuma ya soki sauran kasashen Musulmi bisa shurun da suka yi. Sai dai mai magana da yawun ma'aikatar harkokin wajen China, Geng Shuang, ya ce \"an rudi Ozil ne da labaran kanzon kurege\" kafin ya yi maganar. Geng ya ce: \"Ban sani ba ko Ozil ya taba zuwa Xinjiang da kansa, amma da alama an rude shi ne da labaran kanzon kurege sannan kuma abin da yake fada yana cike da karairayi. \"Idan Ozil ya samu dama, za mu so ya ziyarci Xinjiang domin gane wa idonsa.\" Kungiyoyin kare hakkin dan Adam da dama sun bayyana cewa kusan miliyan daya ne - akasarinsu Musulmai 'yan kabilar Uighur - aka tsare a gidajen yari masu tsattsauran tsaro, ba tare da shari'a ba. China ta sha musanta zargin muzguna masu, inda ta ce ana \"ilmantar da su ne a cibiyoyin gyara hali\" domin kakkabe tsattsauran ra'ayin daga zukatansu. Jim kadan bayan kalaman na Ozil, gidan talabijin na CCTV, mallakar gwamnatin China, ya cire wasan Premier tsakanin Arsenal da Manchester City daga jadawalin wasannin da zai nuna. Mamallakin shafin bincike na Baidu ya sauke wani zaure na magoya bayan Ozil daga shafinsa sannan ya ce: \"Idan ana maganar bukatun kasa babu ruwanmu da abin da wani yake so.\" Hukumar kwallon kafar China ta ce kalaman Ozil \"ba abin amincewa ba ne\" sannan kuma \"sun bata ran\" magoya baya. A ranar Asabar ne Arsenal ta nisanta kanta daga kalaman na Ozil, tana mai cewa \"ba ta da bangare a matsayinta na kungiya\". Ozil ya buga wasan da Manchester City ta doke Arsenal 3-0 a filin wasa na Emirates ranar Lahadi, inda ya nuna bacin ransa a fili bayan an sauya shi a wasan. Hakan ya jawo magoya bayan Arsenal suka yi masa ihu yayin da yake fita daga filin. Ozil ya nuna bacin ransa lokacin da aka canza shi a wasansu da Man City Abin da muka sani game da Musulmin Uighur na China Uighur kabila ce mai yawan kusan miliyan 11 da ke zaune a yammacin China da ake kira Xinjiang. Mafi yawansu Musulmi ne. An sha zargin China da tsare 'yan kabilar ba tare da shari'a ba a gidajen yari masu matukar tsaro, inda ake tilasta masu koyon harshen Mandarin na China, su yi mubaya'a ga Shugaban kasar Xi Jinping sannan a tilasta masu fita daga Musulunci. China takan ce \"ana ilmantar da su ne\", sai dai wasu bayanai da suka bulla wadanda kuma shirin BBC na Panorama ya gani, sun nuna yadda ake azabtar da mutane ta hanyar kulle su da kuma koya masu wani addini na daban. Sharudan da aka gindaya a cikin bayanai sun hada da cewa a sanya wa cibiyoyin tsauraran tsaro ta yadda ba za su iya guduwa ba sannan a rika bai wa mutane maki gwargwadon \"sauyin da suka samu a addinance\" da kuma biyayya ga dokoki. Tsofaffin fursunoni sun shaida wa BBC yadda aka rika azabtar da su a jiki da kuma yadda ake tankwara tunaninsu."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46832501", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53183534", "doc1": "দুনিয়া মাতিয়েছিলেন এই পপ তারকা। মৃত্যুর এত বছর পরও তাকে নিয়ে এখনো বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এবারের বিতর্কের জন্ম একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে। একসময় দুনিয়া মাতানো এই সঙ্গীত শিল্পিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র 'লিভিং নেভারল্যান্ড' এই মাসেই প্রথম প্রদর্শনী হবে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে। কিন্তু তার আগেই সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে 'মাইকেল জ্যাকসন শিশুদের যৌন নিপীড়ন করতেন।' যে অভিযোগ এর আগেও অনেকবার উঠেছে। তবে এই তথ্যচিত্রে তার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করছেন এমন দুজনের সাক্ষাৎকার রয়েছে। যাতে দেখা গেছে দুই জন পুরুষ বলছেন, তাদের বয়স যখন সাত ও দশ বছর তখন মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা। দুজনের বয়স এখন তিরিশের কোঠায়। তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ একবার 'নেভারল্যান্ড' নামে পরিচিত তার খামারবাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছিলো। এই খামারবাড়িটির নামেই তথ্যচিত্রটির নামকরণ। এই অভিযোগে সেই সময় মাইকেল জ্যাকসনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। আরো পড়ুন: আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে: মাইকেল জ্যাকসনের মেয়ে যেভাবে সঙ্গীতজগত বদলেছেন মাইকেল জ্যাকসন তবে ২০০৫ সালে তাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। 'লিভিং নেভারল্যান্ড' তথ্যচিত্রে বর্ণনা করা হয়েছে যে, 'জনপ্রিয়তাকে ঘিরে তার যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছিলো, তারকাদের ঘিরে শিশুদের মনে যে ধরনের চরম উন্মাদনা তৈরি হয়, মাইকেল জ্যাকসন সেটির অপব্যবহার করতেন, ছলচাতুরীর অবলম্বন করতেন।' তার পরিবার এমন দাবিকে কুরুচিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন ড্যান রিড। এটি তৈরির পেছনে রয়েছে এইচবিও ও চ্যানেল ফোর-এর মতো বড় বড় নাম। মি. রিড, এইচবিও ও চ্যানেল ফোর যৌথভাবে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক। মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার এই তথ্যচিত্রের দাবিকে 'কুরুচিপূর্ণ' বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে তথ্যচিত্রটি দিয়ে মাইকেল নামটিকে অপব্যবহারের এক 'জঘন্য চেষ্টা' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে জুন মাসের ২৫ তারিখ কয়েকটি ঔষধের অতিরিক্ত বা ভুল প্রয়োগে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছিলো। অন্যান্য খবর: বাংলাদেশের অর্থ চুরি:ফিলিপিন্স ব্যাংক কর্মকর্তার জেল বাংলাদেশে সোশাল মিডিয়ায় নজরদারী যে কারণে বাড়ছে গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ: ইকোনমিস্ট", "doc2": "Mawaƙin ɗan Amurka ya karaɗe lungu da saƙo na duniya da waƙoƙinsa, waɗanda da ya fara tun bai balaga ba kuma da alama har duniya ta tashi ba za a manta da su ba. Michael Jackson ya rasu ranar 25 ga watan Yunin 2009 yana da shekara 49 bayan ya sha wasu kwayoyi fiye da kima, a cewar rahotanni. Daga cikin irin ra'ayoyin da kuka bayyana mana, mun tsakuro irin waƙoƙin da suka burge ku kuma kuke tuna shi da su. Waƙar They Don't Care About Us ta yi fice matuƙa tun bayan sakinta a shekarar 1995 kuma samari a ƙasar Hausa musaman waɗnda ba su ƙware a Ingilishi ba kan ba ta sunaye iri-iri. Wani mai bibiyarmu mai suna @bukarkundila a shafin Twitter ya ce shi waƙar da ta fi burge shi ita ce \"awara da yaji da ɗumi-ɗuminta\", yana nufin \"They Don't Care About Us\". Yayin da @bendalhat ya ce shi waƙoƙin Thriller da Beat it ne ke tuna masa da Michael, shi kuwa @ybmmaskira Bellie Jean ya fi tunawa. A shafinmu na Facebook kuwa, Mayor Muhammad Yusuf ya bayyana cewa ya taɓa ganin tauraron mawaƙin a ƙasar Hadaddiyar Daular Larabawa wato UAE kuma waƙar Heal The World ya fi so. Babangida Nayilwa Bungudu ne ya ce duk da cewa shi ba ma'abocin waƙe-waƙe ba ne amma ya san cewa mawaƙin ya shahara. Shi ma Ahmad Ibn Aliyu Khamaaraway shi ya yi cewa waƙoƙi biyu ne suke burge shi - Thriller da Man in The Mirror- kamar yadda ake iya gani a ƙasa. Shafinmu na Instagram ma ba a bar shi a baya ba, inda mutum fiye da 250 suka bayyana ra'aytyoinsu game da shahararren mawaƙin. @zeezee_sko ta ce waƙar Human Nature ce ta fi burge ta, sai kuma @aminu_keanuwess da ya ce waƙoƙin You Are Not Alone da kuma Billie Jean ne nasa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53143971", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53135217", "doc1": "শ্রীলংকার কোন মুসলিম করোনাভাইরাসে মারা গেল তার মৃতদেহ কবর দিতে দেয়া হচ্ছে না মুসলিম কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে – যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ। মে মাসের ৪ তারিখ তিন সন্তানের মা ৪৪ বছর বয়স্ক মুসলিম মহিলা ফাতিমা রিনোজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি কোভিড -১৯ সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। পুরো পরিবারটির ওপর চড়াও হয় কর্তৃপক্ষ ফাতিমা শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর বাসিন্দা। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে। যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিন থেকেই কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারের ওপর ‘চড়াও হয়‌’ বলে অভিযোগ করেন ফাতিমার স্বামী মোহামেদ শফিক। “পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে হাজির হয়” – বলছিলেন শফিক। “আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়, সবখানে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের কিছু বলেনি। এমনকি তিন মাসের বাচ্চাকেও ভাইরাস টেস্ট করা হয় -তারপর তারা আমাদেরকে কুকুরের মত করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিযে যায়।\" পুরো পরিবারটিকে এক রাত সেখানে আটকে রাখা হয়, কিন্তু পরদিন তাদের ছেড়ে দিয়ে বলা হয়, তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন এর মধ্যেই খবর আসে যে ফাতিমা মারা গেছেন। তিনি একাই হাসপাতালে ছিলেন। কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হলো ফাতিমার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে বলা হলো হাসপাতালে গিয়ে তার মায়ের মৃতদেহ সনাক্ত করতে। তাকে বলা হলো, যেহেতু কোভিড-১৯এ ফাতিমার মৃত্যু হয়েছে তাই তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে না। ফাতিমার ছেলে বলছে, তার মায়ের মৃতদেহ দাহ করার অনুমতিসূচক কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে তাকে বাধ্য করা হয় – যদিও মুসলিম আইনে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলাকে মানবদেহের অবমাননা বলে মনে করা হয়। “আমার ছেলেকে বলা হয়, আরো কিছু পরীক্ষা করার জন্য ফাতিমার দেহের কিছু অংশ কেটে নিতে হবে। তার যদি করোনাই হয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের অংশ কেটে নেয়ার দরকার কী?” - বলছিলেন শফিক। শফিক মনে করেন, আসলে কী ঘটেছিল তা তার পরিবারকে পুরোপুরি জানানো হয়নি। ফাতিমার পরিবারসহ শ্রীলংকার আরো কিছু মুসলিম পরিবার মিলে তাদের বিরুদ্ধে “মহামারিকে ব্যবহার করে বৈষম্যমূলক আচরণ করার জন্য\" সরকারের সমালোচনা করেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কী বলছে এই মুসলিম পরিবারগুলো বলছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়া লোকদের কবর দেয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাদের মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করছে। তারা বলছে, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী জনগোষ্ঠী যেরকম ধারাবাহিকভাবে হয়রানি এবং ভীতি সৃষ্টি করছে – এটি তার সবশেষ উদাহরণ। শ্রীলংকার মুসলিমদের অভিযোগ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ইসলামপন্থীরা শ্রীলংকার পূর্বাঞ্চল ও রাজধানী কলম্বোর কিছু নামীদামী হোটেল ও গির্জা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় – যাতে বিদেশী সহ ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। ওই মারাত্মক হামলা পুরো দেশটিকে স্তম্ভিত করে দেয়। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এর কৃতিত্ব দাবি করে। শ্রীলংকার অনেক মুসলিমই মনে করেন – ওই আত্মঘাতী হামলার পর থেকে তাদেরকে ‌‘দানব’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শ্রীলংকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মুসলিম ব্যক্তি মারা যান ৩১শে মার্চ। এর পর থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলিভাবেই মুসলিমদের ওই মহামারি ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হতে থাকে – যদিও ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে সরকারিভাবে মাত্র ১১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এই ১১ জনের সবার মৃতদেহই দাহ করা হয়েছে। সরকারের প্রধান সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. সুগত সামারাবীরা বলেছেন, সরকারের নীতি হচ্ছে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত বা আক্রান্ত সন্দেহে যারাই মারা যাবে – তাদের মৃতদেহ দাহ করা হবে। কারণ কবর দেয়া হলে তা ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তরকে দূষিত করতে পারে। অনেকে মনে করেন ২০১৯-এ শ্রীলংকার চার্চ ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলার পর মুসলিমদের ‌ভীতির পাত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। ড. সামারাবীরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা সমাজের কল্যাণের জন্য এই নীতি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু মুসলিম অধিকারকর্মী, কমিউনিটি নেতা এবং রাজনীতিবিদরা শ্রীলংকার সরকারকে এ নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। একমাত্র দেশ শ্রীলংকা হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ১৮২টি সদস্যের মধ্যে একমাত্র দেশ – যেখানে কোভিড-১৯এ মৃত মুসলিমদের দাহ করা হচ্ছে, এক আবেদনে এ কথা বলেছেন আলি জহির মওলানা – যিনি একজন সাবেক মন্ত্রী এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে একজন প্রার্থী। বিবিসি সিনহালাকে তিনি বলেন, মৃতদেহ কবর দেয়াটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এর কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ থাকলে শ্রীলংকার মুসলিম জনগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। শ্রীলংকার মুসলিম কংগ্রেসের উর্ধতন নেতারা তার এ বক্তব্য সমর্থন করেছেন। তারা বলছেন, এটা স্পষ্ট যে দাহ করার পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক বা স্বাস্থ্যগত ভিত্তি নেই, এবং সরকারের সিদ্ধান্তটি আসলে দেশটিকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার এক সুগভীর এজেন্ডার ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে। ভিন্ন নিয়ম ফাতিমা যেদিন মারা যান, সেদিনই কলম্বোয় তার বোনের বাড়িতে মারা যান ৬৪ বছর বয়স্ক আবদুল হামিদ মোহামেদ রাফাইদিন। ইস্টার হামলার পর ভীতির মধ্যে আছেন শ্রীলংকার মুসলিমরা চার সন্তানের পিতা এই শ্রমিক শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার কনিষ্ঠ পুত্র নওশাদ রাফাইদিন বিবিসিকে বলেন, ওই একই দিনে তাদের একজন প্রতিবেশীও মারা যান - যিনি শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনহালা সম্প্রদায়ের। লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলিশ তাদের পরিবারকে পরামর্শ দেয় দুটি মৃতদেহ এক সাথেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তারা তাই করলেন। হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে নিয়ে যাবার পর ডাক্তার নওশাদকে বললেন, তিনি তার পিতার মৃতদেহ স্পর্শ করতে পারবেন না। যদিও কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণেই তিনি মারা গিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট ছিল না। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয় নওশাদ লেখাপড়া জানেন না। তাকে বলা হলো তার পিতার মৃতদেহ দাহ করা অনুমতিসূচক কিছু কাগজপত্রে সই করতে। নওশাদ বলছেন, সই না করলে কি হবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যদি তিনি এটা করতে অস্বীকার করেন তাহলে তার পরিবার ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার প্রতিবেশীর সাথে অবশ্য ভিন্ন আচরণ করা হলো। “অন্য যার মৃতদেহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলাম – তাকে শেষকৃত্যের জন্য একটি আলাদা জায়গায় নিযে যাওয়া হলো। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন যথারীতি মৃতকে বিদায় জানাবার সুযোগ পেলেন। তাকে কবরও দেয়া হলো” – বলছিলেন নওশাদ। নওশাদের পিতাকে দাহ করার সময় উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন তিনি নিজে এবং তার অল্প কয়েকজন আত্মীয় । আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস ব্যর্থ, সংক্রমণ কি নিয়ন্ত্রণহীন হতে যাচ্ছে? লকডাউন চিত্র: 'সময়টা যত লম্বা হচ্ছে, আমাদের সাফারিংস তত বাড়ছে' কিস্তিতে বিল পরিশোধের সুবিধা কি সরকার দেবে? বাংলা ওয়েব সিরিজ: বিতর্কের কারণ কী যৌনতা, নাকি অন্যকিছু অন্যদিকে শফিকের স্ত্রীর মৃত্যুর পর ছয় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তিনি এখনো সেই আঘাত সামলে উঠতে পারেননি। যে চিকিৎসাকর্মীরা ভাইরাস পরীক্ষা করেছেন, তারা বলেছেন ফাতিমা আসলে করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিলেন না – যদিও হাসপাতালে তাই বলা হয়েছিল। এতে পরিবারটির বিভ্রান্তি আরো বেড়ে গেল। শফিক এখন বলছেন, “আমরা মুসলিমরা মৃতদেহ দাহ করি না। তারা যদি জানতোই যে ফাতিমার করোনা হয়নি তাহলে তাকে দাহ করা হলো কেন?”", "doc2": "Musulmi sun ce tilasta musu kona gawa ya saba koyarwar addininsu A ranar 4 ga watan Mayu, Fathima Rinoza, wata uwar yara uku mai shekara 44 daga tsirarun Musulmi, an kwantar da ita a asibiti lokacin da aka yi zargin tana dauke da cutar Covid-19. 'Ƙullalliya' irin ta mahukunta Fathima, da ke rayuwa a birnin Sri Lanka, Colombo, ta yi ta fama da matsalar numfashi, hakan ya sa mahukunta suka shiga fargabar ko ta kamu da korona. A ranar da aka kwantar da ita a asibiti, mijinta, Mohamed Shafeek, ya ce wannan wata 'kulaliya ce' da aka shirya wa iyalansa. ''Yan sanda da sojoji da wasu jami'ai sun ziyarci gidana,'' a cewarsa. ''Sun hankada mu waje guda sannan suka yi mana feshi da kuma cikin gida. Duk mun tsorata amma ba su ce mana komai ba. Har jaririn watannin uku a duniya aka yi wa gwaji kafin daga bisani aka kwashe mu kamar karnaku aka killace mu.'' An garkame mu na dare guda sannan washe gari aka sake mu tare da umartar mu da mu killace kanmu na mako biyu. A cikin wadanan kwanakin, muka samu sakon cewa Fathima ta rasu a asibiti. Tilasta sanya hannu a takardu An umarci babban ɗa ga Fathima ya je asibiti ko zai gane gawar mahaifiyarsa. Daga nan aka riƙe shi wa ba zai dawo gida ba saboda mutuwarta na da alaƙa da Covid-19. Ya ce an tilasta masa sanya hannu a takardar amincewa a ƙona gawar mahaifiyarsa, duk da cewa hakan ya saba koyarwa addinin Musulunci. ''An shaida masa cewa akwai bukatar a cire wasu sassan jikinta domin yin gwaji. Me ya sa za su cire sassan jikinta in dai korona ce ajalinta?'' a cewar mahaifinsa Shafeek, wanda yake da yakinin ba a yi wa iyalansa cikakkun bayanai ba, kan ainihin abin da ya faru. Iyalan Fathima sun bi sahun sauran al'ummar Musulmi a kasar wajen sukar gwamnati kan amfani da annobar wajen nuna wariya a garesu. Sharuɗɗan WHO Sun ce hukumomi na amfani da karfi wajen tilasta ƙona gawawwakin mutane da korona ta yi ajalinsu, duk da cewa ƙa'idojin WHO ba su ba da damar a binne mutumin da wannan cuta ta hallaka. Sun ce wani sabin salon muzgunawa ce da cin zarafi daga ƙabilar Sinhalese masu rinjaye. A watan Afrilu 2019, masu ikirarin jihadi da ake alakantawa da wata karamar kungiyar sun kai hare-hare a manyan otel-otel da coci-coci a Colombo da ke gabashin kasar, tare da kashe mutum sama da 250, ciki har da baki 'yan ƙasashen ƙetare. Mummunan harin, da kungiyar IS ta dau alhaki, ya girgiza kasar. Musulmi da dama tun daga wannan lokaci suka shiga tsaka mai-wuya. 'Barazana' Mutum 11 kacal aka tabbatar korona ce ajalinsu a Sri Lanka Tun mutuwar Musulmi na farko dauke da wannan cuta a ranar 31 ga watan Maris, wasu kafafen yadda labaran suka fito ƙarara suna daura alhakin yaduwar cutar kan al'ummar Musulmi, duk da cewa mutuwar mutum 11 aka sanar a hukumance a kasar. Dukkanin gawarwakin 11, har da Musulmin da ke cikinsu an ƙona su. Dokta Sugath Samaraweera, babban jami'in gwamnatin kan annobar cutuka, ya ce tsarin gwamnati ne cewa duk wanda ya mutu sanadiyar Covid-19 da wayanda ake zargin ita ce ajalinsu, a ƙona su saboda binnesu na iya sake yada cutar ta hanyar ruwan sha. Dokta Samaraweera ya ce kwararru sun sahale wannan tsarin ne domin kare al'umma. Sai dai masu fafutika Musulmi, shugabannin al'umma da 'yan siyasa sun bukaci gwamnatin Sri Lanka ta sake nazarin matakinta. 'Kasa daya tilo' Sri Lanka ita kadai ce ƙasa cikin mambobi 182 na WHO da ake ƙona gawawwakin Musulmi saboda korona, kamar yadda wani tsohon minista kuma me neman takara a zabe mai zuwa Ali Zahir Moulana ya gabatar a wani korafi. Moulana ya shaidawa BBC cewa al'ummar Musulmin ƙasar za su amince da hukunci da gwamnati ta yanke ''indai aka tabbatar a kimiyance cewa binne gawa hadari ne ga lafiya''. Kalamansa sun samu goyon-baya manyan shugabannin addinin Musulmin ƙasar wadanda suke cewa bayanai sun nuna ƙarara cewa babu wata hujja ko bincike kimiyya da ta tilasta ƙona gawa, kuma wannan mataki na gwamnati son-kai ne da kokarin raba kan ƙabilun kasar. Ƙa'idoji mabambanta A ranar da Fathima ta mutu, an samu wani mutum mai shekara 64 Abdul Hameed Mohamed Rafaideen da shi ya mutu a gidan 'yar uwarsa da ke Colombo. Mutumin wanda lebura ne kuma uba ga yara hudu ya yi ta fama da matsalar numfashi. Dan karamin dansa, Naushad Rafaideen, ya shaida wa BBC cewa wani makwabcinsu shi ma ya rasu a wannan ranar. Saboda dokar ƙulle, 'yan sanda sun umarci iyalansa su kai gawarsa tare da ta mahaifinsu asibiti. A mutuware wato inda ake killace gawa, likitoci sun shaida wa Naushad cewa ba shi da damar taba gawar mahaifinsa saboda barazanar korona, duk da cewa babu bayanai da ke tabbatar da cewa korona ce ajalinsa. Fargabar barazana Naushad, wanda bai iya karatu ba, an bukace shi ya sanya hannu a wata takardar amincewa a ƙona gawar mahaifinsa. Naushad ya ce ba shi da tabbacin abin da zai same shi idan ya bijire, sai dai yana fargabar barazanar da 'yan uwansa za su shiga da sauran al'ummarsu idan ya nuna turjiya. Ba hakan ne kuma ya faru a kan makwabtansa ba. Naushad da wasu tsirarun danginsa kadai aka amince su shaida yadda aka ƙona gawar mahaifinsa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47466420", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-47468417", "doc1": "বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার কাইলি জেনার। কার্দাশিয়ান পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্য বিপুল পরিমাণ সম্পদ আয় করেছেন প্রসাধনীর ব্যবসা থেকে। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী 'কাইলি কসমেটিকস' এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনবছর আগে তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে আনুমানিক ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রসাধন বিক্রি করেছে। এর আগে ২৩ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। \"আমি এরকম কিছু আশা করিনি। আমি ভবিষ্যৎ অনুমান করিনি।\" \"কিন্তু স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে, মনে হচ্ছে কেউ উৎসাহ দিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলো\", ফোর্বসকে বলেন মিজ. জেনার। তালিকা অনুযায়ী, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তি। আরো পড়তে পারেন: বাড়িতে পোষা সিংহের হাতে নিহত যুবক যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে মি. বেজোসের মোট মূল্য ৯.১ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৭ ট্রিলিয়নে নেমেছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণও গত এক বছরে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গতবছর ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস সংশ্লিষ্ট কেলেঙ্কারির কারণে ফেসবুকের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। বিশ্বের সকল বিলিয়নিয়ারদের এই তালিকায় নারীর সংখ্যা মাত্র ২৫২ জন। স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান চীনের ওউ ইয়াজুন, যার আনুমানিক মূল্য ৯.৪ বিলিয়ন ডলার। এবারই প্রথম স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিলিয়নিয়ার নারীর সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ৭২ জনে। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৫৬। ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে কার কত সম্পদ আছে সে অনুযায়ী ফোর্বসের এই বিলিয়নিয়ারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। ঐ দিন সারাবিশ্বে মূদ্রার বিনিময় হার এবং স্টকের মূল্য বিচার করে করা হয় তালিকাটি। ফোর্বস বলছে - ২০১৯' বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫৩ জন, যেখানে ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২,২০৮। বিশ্বের শীর্ষ দশজন ধনীর তালিকায় রয়েছনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। বিলিয়নিয়ারদের গড় মূল্য ৪.১ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ফোর্বসের মতে, এই বিলিয়নিয়ারদের ৯৯৪ জনের সম্পদের পরিমাণই আগের বছরের চেয়ে কমেছে। এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের নাগরিক রয়েছেন ৫২ জন - যাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীচান্দ হিন্দুজা এবং গোপিচান্দ হিন্দুজা। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিন্দুজা গ্রুপের কর্ণধার এই দুই ভাইয়ের মোট মূল্য ১৬.৯ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়নিয়ার রয়েছেন ৬০৭ জন, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন, যাদের বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩২৪ জন। তবে চীনা বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। নতুন ৪৪ জন চীনা নাগরিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কিন্তু ১০২ জন তালিকা থেকে বাদও পরেছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় থাকা ২৪৭ জন বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৈধ হ্যাকিং করে কোটিপতি যে কিশোর", "doc2": "Kylie Jenner ta zamo matashiyar da ta fi kowa kudi a zamanin nan Matashiyar, 'yar zuri'ar fitattun iyalan nan na Kardashian, ta samu arzikinta sakamakon sayar da kayan kwalliya da take yi. Matsahiyar mai shekara 21, tana da kamfanin samar da kayan kwalliya na Kylie Cosmetics, kasuwancin da ta fara shekara uku da suka gabata, wanda a shekarar da ta gabata kadai ta yi cinikin dala miliyan 360. Ta kai wannan matsayi ne a shekarun da ba su kai na shugaban Facebook Mark Zuckerberg ba, wanda ya zama biloniya yana dan shekara 23. \"Ban tsammaci komai ba. Ban hango hakan zai faru a gaba ba. \"Amma na ji dadin karramawar. Wannan kara min azama ne aka yi,\" kamar yadda Ms Jenner ta shaida wa Forbes. TJerin sunayen ya nuna cewa shugaban Amazon, Jeff Bezos, har yanzu shi ne wanda ya fi kowa kudi a duniya. Jumullar arzikinsa ya kai dala biliyan 131, a cewar Forbes, wato ya karu da dala biliyan 19 daga 2018. Arzikin Mark Zuckerberg na daga cikin wadanda ke raguwa. Arzikinsa ya ragu da dala biliyan 8.7 a shekarar da ta gabata, inda ya koma dala biliyan 62.3 a cewar Forbes. Sai da aka zo matakin da hannayen jarinsa a Facebook suka fadi da kashi daya bisa uku a lokacin da kamfanin ya shiga rikicin batun tsare sirrin mabiyansa. Hannayen jarin kamfanin Amazon kuwa sun samu tagomashi sosai sai dai bambancin arzikinsa da na Bill Gates a yanzu ba wani mai yawa ba ne, duk da cewa arzikin Mista Gates din ya karu da dala biliyan 96.5 daga dala biliyan 90 na baya. A dukkan jerin sunayen masu kudin duniyar, 252 ne kawai mata, kuma matar da ta fi arziki ita ce wata 'yar China mai dillancin gidaje Wu Yajun, wacce arzikinta ya kai dala biliyan 9.4. Yawan matan da suka fi arziki ya karu zuwa 72 a karon farko cikin shekara 56 da suka gabata. Har yanzu Jeff Bezos ne ya fi kudi a duniya"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50108023", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50083612", "doc1": "স্নেকহেড কেবল রাক্ষুসে মাছ নয়, এটি ডাঙাতেও বেঁচে থাকতে পারে। ঠিক এরকম নির্দেশনাই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ন্যাচারাল রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট বা প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ। উত্তরাঞ্চলীয় 'স্নেকহেড' মাছ দেখতে লম্বাটে ও চিকন। এর মাথা দেখতে অদ্ভূত রকম চ্যাপ্টা। এটি উচুঁ মানের শিকারী প্রাণী এবং এর ক্ষুধা অফুরন্ত। প্রতি বছর দশ হাজার ডিম এই মাছ অন্যান্য জাতের মাছ থেকে শুরু করে ব্যাঙ, কাঁকড়া সবই সাবাড় করে ফেলে। স্নেকহেড ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে এটি দেখতে ৮০ সেন্টিমিটারের মতন লম্বা হতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও এই মাছ নিশ্বাস নিতে পারে এবং চলাফেরা করতে পারে। আর এ কারণেই এই প্রাণী এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে চলে যেতে পারে। এই মাছ যদি একবার অন্য আরেক জায়গায় পৌঁছাতে পারে তাহলে এর বিস্তার ঠেকানো মুশকিল। স্নেকহেড মাছের নারী সদস্যরা বছরে দশ হাজার পর্যন্ত ডিম দেয়। দূর্ঘটনাবশত বিস্তার? স্নেকহেড মূলত চীন, রাশিয়া ও কোরিয়া অঞ্চলের মাছ। কিন্তু প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চার জাতের স্নেকহেডকে অ্যামেরিকায় সনাক্ত করা গেছে। তবে, শুরুতে মূলত পালনের উদ্দেশ্যেই এই মাছকে যুক্তরাষ্ট্রের জলাশয়ে ছাড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। অনেকে স্নেকহেড কিনেছিলেন সখ করে পোষার জন্য। কিন্তু এসব মাছ পানিতে ছেড়ে দেয়ার পর এর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। জর্জিয়া ছাড়াও ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেট্স ও মেরিল্যান্ডে এই মাছ পাওয়া গেছে। মেরিল্যান্ডেই ২০০২ সালে প্রথমে এই মাছকে সনাক্ত করা হয়। জনগণের সহায়তা জর্জিয়াতে স্নেকহেড মাছকে সনাক্ত করার পর অক্টোবরের ৮ তারিখেই সেখানে জনসচেতনতা মূলক একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পানি ছাড়াও যে এই মাছ বেঁচে থাকতে পারে সেই কথা উল্লেখ করে ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্স (ডিএনপি) জনগণের উদ্দেশে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। মৃত স্নেকহেড দেখলেও সেটির ছবি তুলতে এবং সেটিকে ঠিক কোথায় পাওয়া গিয়েছে সেই বিষয়ে নোট নিতে তাগিদ দেয়া হয়েছে সেই নির্দেশনায়। স্নেকহেড দমনের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষ জনগণের সহযোগিতা চাইছেন। ফ্লোরিডায় স্নেকহেড মারার চেষ্টা করছেন দুজন জেলে। জর্জিয়া ডিএনপির ফিশিং অপারেশন্স ম্যানেজার স্কট রবিনসন বলেছেন, \"এটি একটি দুরূহ কাজ হলেও এদের সবগুলোকেই খুঁজে বের করা হবে। এখানে এরা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না।\" পানি ছাড়া এই মাছ বাঁচে কী করে? ডাঙ্গাতেও কী করে এই মাছ বেঁচে থাকতে পারে সেই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এভলিউশনারি ইকোলজি এন্ড একোয়াটিক বাইয়োলোজি বিভাগের অধ্যাপক মার্টিন জেনার। \"এশিয়াতে, তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে এই মাছটি সাধারণত কম অক্সিজেনপূর্ণ পরিবেশে যেমন ধানক্ষেতে বা পানিতে অর্ধেক ডুবে থাকা বনাঞ্চলে থাকে\", ব্যাখ্যা করছিলেন মি. জেনার। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: কাশ্মীর: সর্বনাশের ঝুঁকি, তবুও বাকি বিশ্বের অনীহা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কি কাজ করছে? বিএসএফ সদস্য নিহতের ঘটনা কীভাবে দেখা হচ্ছে ভারতে স্নেকহেডের শরীরে অক্সিজেন জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা আছে। এ কারণে এটি পানির বাইরেও তিনদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এরকম পরিবেশে থাকার কারণে এই মাছগুলোকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোজন কৌশল আয়ত্বে আনতে হয়। মূলত এসব পরিবেশে এই মাছগুলো তাদের অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণকে সর্বোচ্চ বাড়িয়ে নেয়। বাড়তি বায়ু জেনার আরো বলছিলেন, এই জাতের মাছের গিল বা ফুলকার পেছনে বাতাসের একটি চেম্বার থাকে। এটিকে বলা হয় সুপ্রাব্রাঞ্চিয়াল চেম্বার। সাধারণত, মাছেরা তাদের ফুলকার সাহায্যে দম নেয় এবং এর মাধ্যমেই অক্সিজেন আসা-যাওয়া করে। মাছ পানির উপরিতলে উঠে আসতে এবং যে কোনো দিকে যেতে সক্ষম। তারপর তারা পানির গভীরে চলে যায় এবং অক্সিজেন ব্যবহার করে। \"কিন্তু এই স্নেকহেড মাছগুলো পানির উপরিভাগে উঠে এসে কিছু বায়ু বুকে ভরে নেয় এবং তারা একেবারে জলের গভীর তলানিতে নেমে যেতে পারে। সেখানে প্রয়োজন হলে তারা তাদের চেম্বারের অক্সিজেন ব্যবহার করে,\" ব্যাখা করেন মি. জেনার। ক্রলিং স্নেকহেড মাছগুলো ডাঙ্গাতেও দম নিতে পারে। যার কারণে তারা আসলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করতে সক্ষম। যখন নদী শুকিয়ে যায় তখন স্নেকহেড মাটির ওপর দিয়ে অন্য জলাশয়ের দিকে যেতে পারে। ট্রপিক্যাল বা গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে জলাভূমিগুলো প্রায়শই শুকিয়ে যায়। তাই, মাছগুলোকে তখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হয়। \"স্নেকহেড ডাঙায় চলাফেরা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই কাজটি স্নেকহেড খুব কৌশলে করে। মাছগুলো পাখনা ব্যাবহার করে বুকে ভর দিয়ে এগিয়ে চলে। কিন্তু পানির বাইরেও একটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তারা বেঁচে থাকতে পারে কারণ তারা ঢোক গেলার মাধ্যমে বায়ু গ্রহণ করে সেটিকে শ্বাসের কাজে লাগাতে পারে।\" তবে, মি জেনার বলছেন, স্নেকহেডই ডাঙ্গাতে বেঁচে থাকা একমাত্র মাছ নয়। ক্যাটফিশের মতন অন্য এমন আরো কিছু প্রজাতির মাছ রয়েছে যারা স্থলেও অক্সিজেন ব্যবহারে সক্ষম। ক্যাটফিশ হচ্ছে আরেকটি মাছ যেটি ডাঙ্গায় শ্বাস নিতে পারে এছাড়া লাংফিশ-ও ডাঙাতে দম নিতে পারে। লাংফিশেরও মানুষের মতন ফুসফুস রয়েছে। তবে, লাংফিশের ফুসফুস মানুষের মতন দম নেয়া ও দম ছাড়ার কাজ করে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফুসফুসের ভেতর হাওয়া ভরে নেয় লাংফিশ এবং পরবর্তীতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে তা ব্যাবহার করে। গৌরামিস নামে আরেক জাতের মাছেরও ফুসফুসের মতন একটি অঙ্গ রয়েছে। সেটি ফুসফুসের মতই কাজ করে এবং দম নিতে সাহায্য করে। এই মাছগুলোও ডাঙায় স্বল্প দূরত্বে চলাফেরা করতে পারে। কঠিন প্রতিযোগী প্রতিকূলতা সহ্য করে টিকে থাকতে পারে স্নেকহেড। তাই, একে মোকাবেলায় তীব্র সতর্ক অবস্থানে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ। যে সব ব্যক্তি জলাশয়ে ছিল এবং স্নেকহেডের সংস্পর্শে এসেছে তাদের সকল পোশাক-আশাক, যন্ত্রপাতি, নৌকা ও পোষা কুকুরকেও ভালো করে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নেবার তাগিদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্য মাছের তুলনায় স্নেকহেডের অক্সিজেনের চাহিদা কম খাদক প্রকৃতির মাছ স্নেকহেড থাকলে অন্য প্রজাতির খাদ্য-শৃঙ্খলে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতি সামান্য অক্সিজেন হলেই স্নেকহেড জলাশয়ে টিকে থাকতে পারে বিধায় অন্যান্য প্রজাতির মাছ যেমন ট্রাউট ও ব্যাসের চেয়ে স্নেকহেড রয়েছে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে। তাই, এই মাছের ভয়ংকর 'খ্যাতি' ছড়িয়ে পড়েছে। এটিকে নিয়ে এমকি ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। সেই তথ্যচিত্রের নাম দেয়া হয়েচে 'ফিশজিলা'।", "doc2": "Hukumar Kula da Albarkatun Kasa ce ta fitar da wadannan bayanai a jihar Georgia ta Amurka. Wani kifi ne mai kan maciji da ake samun sa a arewacin Amurka da ake kira Channa argus. macijin yana da tsayi kuma ba shi da kauri. Bugu da kari,yana da hatsari. Kwayaye dubu goma a shekara Channa argus na cin duk wani abu da ya tari gabansa, kama daga sauran dangin kifaye, kwadi da kuma kaguwa. Kifin na da tsawon santi mita 80, yana kuma iya shakar iska da kuma yawo a sarari. Hakan ya ba wa kifin damar yawo daga ruwa zuwa ruwa. Matsawar kifin ya isa sabon wuri, to kuwa fada da shi na da matukar wahala. Macen kifin na saka kwayaye 10,000 a shekara. Bazuwar kifi mai kan maciji Ana samun kifi mai kan maciji a China da yankin Koriya, duk da a Amurka aka fara gano shi sama da shekaru 10 da su ka wuce. Kawo yanzu nau'i hudu aka iya ganowa na kifin, an kuma yi amannar cewa kifin ya yadu ne a dalilin sayen shi da ake yi da nufin kiwata shi a cikin gidaje a cewar hukumomi a Amurka. Hakama ana samun kifi mai kan maciji a cikin daji a jihohin Florida da New York da Virginia da California da Massachusetts da kuma Maryland. To amma a Maryland aka fara gano shi a shekarra 2012 kuma abun damuwa a lokacin shi ne irin yadda aka fahimci cewa ya bazu a cikin dazuka. Neman taimako daga al'umma Jami'ai a Jihar Georgia sun yi gargadi a ranar 8 ga watan Oktoba, bayan da wani masunci ya kama kifi mai kan maciji na farko a jihar. A gargadin, jami'an sun sanar da al'umma cewa kifin kan iya rayuwa a wajen ruwa, su kuma dauki hoton mataccen kifin da kuma inda suka kama shi. Ya ya kifi mai kan maciji ke rayuwa a wajen ruwa? Martin Genner, wani Farfesan kula da albarkatun ruwa da ke jami'ar Bristol da ke Burtaniya, ya fada wa BBC hanyoyin da kifi mai kan maciji ke amfani da su wurin rayuwa a doron kasa. Farfesa Gennes ya bayyana cewa kifin na da wani wuri da yake shaka da fitar da iska idan ya fito sarari da masana ke kira 'suprabranchial chamber.' Yana kuma da baiwar jan iska ya adana ta don yin amfani da ita cikin ruwa kamar yadda ake amfani da fanfon shakar iska a cikin ruwa. Jan jiki Kifi mai kan maciji na da damar yawo a kan kasa ya ja jiki don yin tafiya amma ba mai tsawo ba. Kifin ya fi samun damar yin balaguro zuwa wani yanki a wuraren da ke da saurin bushewa ko kuma ba su samun ruwan sama sosai. Mr Gennes ya kara da cewa ba kifin mai kan maciji kadai ba ne mai yawo a sarari, akwai wasu dangin kifaye kamar nau'in kifi da ake kira 'Catfish', da kuma 'lungfish' da ke da wasu sassan jikin kifi mai kan maciji. Akwai kuma wani dangin kifi da ake kira 'gouramies' da ke da wurin shakar iska da yawo a wajen ruwa na takaitaccen wuri.. Karfin da kifi mai kan maciji yake da shi ya sa yake iya mamaye abincin wasu halittun ruwa, kuma kifi ne mai karko da ya shiga gaban takwarorinsa da ke da hatsari amma ba su da karkon da yake da shi kamar na yawo ciki da wajen ruwa. Kifi mai kan maciji na da ban al'ajabi, don har ta kai ana shiri na musamman kan kifin a tsahar namun daji, an kuma yi masa lakani da \"Fishzilla\""} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47931701", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-56275368", "doc1": "বিচারকরা বলছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থায় 'সফল তদন্ত পরিচালনার সম্ভাবনা অত্যন্ত সামান্য। সেদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং স্থানীয় তদন্তকারীদের সহযোগিতার অভাবকে দায়ী করেছে আইসিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রায়কে 'গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিজয়' হিসেবে আখ্যা দিলেও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই রায়ের সমালোচনা করেছে। আইসিসি'র কৌঁসুলি ফাতোও বেনসৌদা'র ভিসা বাতিল করার এক সপ্তাহ পর এই ঘোষণা এলো। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনারা যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করেছিল - এমন অভিযোগ তদন্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন মিজ. বেনসৌদা। তার ভিসা বাতিল হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল যে তার ঐ আবেদনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা বাতিল করেছে। সর্বসম্মতভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা হিসেবে আইসিসি'র বিচার পূর্ববর্তী আদালতের তিন বিচারক বলেন, এ ধরণের তদন্ত 'ন্যায়বিচারের স্বার্থ রক্ষা' করবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই রায়ের ফলে 'শুধু এই দেশপ্রেমিকদেরই নয়, আইনের শাসনেরও বিজয় হয়েছে'। এক বিবৃতিতে মি. ট্রাম্প আইসিসিকে 'অবৈধ' বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে 'দ্রুত এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া' দেখানো হবে যদি তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে অস্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্ত 'ভুক্তভোগীদের পরিত্যাগ করার অত্যন্ত বেদনাদায়ক নজির' যা 'আদালতের গ্রহণযোগ্যতাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করবে'। অ্যামনেস্টির বিরাজ পাটনায়ক বলেছেন, এই সিদ্ধান্তকে 'ওয়াশিংটনের হুমকির সামনে কাপুরুষচিত আত্মসমর্পণ' হিসেবে দেখা হতে পারে। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সেনারাও যুদ্ধাপরাধ করেছে কিনা সেই অভিযোগ প্রায় এক দশক ধরে যাচাই করে আসছে আইসিসির কৌঁসুলিরা। সম্ভাব্য অপরাধের বিষয় খতিয়ে দেখতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই শুরু হয় ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে। আইসিসি যদিও বলেছে, যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এমনটা বিশ্বাস করার 'যৌক্তিক ভিত্তি' রয়েছে। বিচারকরা বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থায় 'সফল তদন্ত পরিচালনার সম্ভাবনা অত্যন্ত সামান্য।' আরো পড়তে পারেন: দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তি'তে ব্যবহার করছিলেন আসঞ্জ প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে একে অপরকে রক্ষা করছেন যে নারীরা নুসরাত হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজের প্রথম ফ্লাইট গত সপ্তাহে আইসিসি কৌসুলি ফাতোও বেনসৌদার ভিসা বাতিল করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কী? যখন কোনো দেশের কর্তৃপক্ষ গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে অপারগ হয়, তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০০২ সালে জাতিসংঘের একটি সমঝোতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের। যুক্তরাজ্য সহ ১২৩টি দেশ এই সংস্থাকে অনুমোদন দিয়েছে। তবে চীন, ভারত, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশই এই সংস্থার সাথে যুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এছাড়া আফ্রিকার কিছু দেশের দাবি, এই আদালত আফ্রিকানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র কেন এর বিরোধিতা করছে? মার্কিন প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই আইসিসির সমালোচনা করে আসছে। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য, এই ধরণের বিচার কার্যক্রমের ফলে তাদের সেনারা রাজনৈতিক মামলার ভুক্তভোগী হতে পারে। নিজের ক্ষমতাকালের শেষদিকে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করার সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছিলেন, কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস কখনোই এর সমর্থন করেনি। বসনিয়ায় শান্তিরক্ষা মিশন থেকে যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন এক পর্যায়ে জাতিসংঘ মার্কিন সেনাবাহিনীকে যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে রেহাই দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে (ইরাকি বাহিনীর ওপর মার্কিন সেনাদের নির্যাতনের চিত্র প্রকাশিত হওয়ার দুই মাস পর) 'মার্কিন বাহিনীর জন্য ব্যতিক্রম' বাতিল করা হয়। মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে আইসিসি'র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে - গত সেপ্টেম্বরে এমন হুমকি দেয় মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।", "doc2": "Kotun ta ICC ta yanke hukunci a watan jiya cewa tana iya yanke da hukunci kan yankunan Falasdinawa Fatou Bensouda ta ce binciken zai duba abubuwan da su ka faru a yankuna kamar na Yamma da Kogin Jordan da Isra'ilar ta mamaye da Gabashin Jerusalem da kuma Zirin Gaza tun 2014. A watan jiya kotun ta ICC ta yanke hukunci a watan jiya cewa tana iya yanke da hukunci kan yankunan Falasdinawa. Isra'ila ta ki amincewa da matakin kotun na binciken ayyukan yakin da aka aikata, amma Falasdinawa na yaba ma ta. Amurka, wadda ita ce babbar kawar Isra'ila, ta bayyana rashin jin dadinta game da matakin kuma ta ce za ta ki amincewa da shi. Kotun na da hurumin binciken duka laifukan yaki da aka aikata kan kowane dan Adam a yankunan kasashen da su ka rattaba hannu kan dokar da ta kafa ta mai suna Rome Statute. Isra'ila ba ta taba rattaba hannu kan dokar ta Rome Statute ba, amma kotun ta yanke hukuncin samun hurumin gudanar da binciken ne saboda sakataren Majalisar Dinkin Duniya ya amince da shigar Falasdinawa cikin kasashen da su ka rattaba hannu kan yarjejeniyar a 2015. Isra'ila ta kwace yankunan Yammacin Kogin Jordan da Gaza da Gabashin Birnin Kudus a bayan Yakin Gabas ta Tsakiya na 1967. Falasdinawa na son a mayar mu su da iko kan yankunan domin su zama wani bangare na kasar da su ke son kafa ta Falasdinu a nan gaba. Fatou Bensouda"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47894271", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50793616", "doc1": "সেনা অভ্যুত্থানের পর খার্তুমে জনতার উল্লাস। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার টিভিতে এক ঘোষণায় বলেছেন, একটি সামরিক কাউন্সিল দু''বছর মেয়াদের এক অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনা করবে এবং তার পর নতুন সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই মি. বশিরের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ চলছিল এবং এসময় সহিংসতায় বেশি কিছু লোক নিহত হয়েছে। উনিশশো উননব্বই সালে ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির আরো কিছু ইসলামপন্থী সেনাকর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সুদানের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেন। তিনিই হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাকে উৎখাতের চেষ্টা এর আগেও হয়েছে - তবে তা সফল হয় নি। ওমর আল বশির ১৯৮৯ সাল থেকে সুদানের ক্ষমতায় ছিলেন। আরও পড়তে পারেন: যেভাবে সুদানের ৩০ বছরের শাসকের উত্থান ও পতন নুসরাত জাহান: যে মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সবাইকে জুলিয়ান আসঞ্জ: সত্যানুসন্ধানী, নাকি প্রচারকামী? গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয় - তা প্রথমে ছিল দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে। তবে ধীরে ধীরে তা মি. বশিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পরিণত হয়। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আওয়াদ ইবনে আউফ টিভিতে বলেন, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং জনগণ গরিব থেকে আরো গরিব হয়ে পড়ছিল। এই বিক্ষোভে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। জেনারেল ইবনে আউফ বলেন, ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একটি সামরিক কাউন্সিল দু'বছরব্যাপী অন্তর্বতী প্রশাসন চালাবে, এবং তার পর নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। এ ছাড়া এক মাসব্যাপী কারফিউ এবং সব সীমান্ত বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করা হয়। বলা হচ্ছে, ৭৫ বছর-বয়স্ক মি. বশিরকে গ্রেফতার করে গোপন স্থানে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টারের খবরে বলা হচ্ছে, খার্তুমের বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি গ্রুপ বলছে, অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা তারা প্রত্যাখ্যান করছে, কারণ তারা বেসামরিক লোকদের দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার চায়, সামরিক বাহিনীর লোকদের নয়।", "doc2": "Omar al-Bashir zai kwashe tsawon shekara biyu a tsare bisa hukuncin alkali. An daure tsohon shugaban har na tsawon shekara biyu a gidan gyara hali, karbar dala miliyan 25 tsaba daga Yarima Mai Jiran Gado na Saudiyya Mohammed bin Salman. Kotun ta umurci kwace kudaden daga tsohon shugaban da sojoji suka hambarar da gwamnatinsa a watan Afrilu. Ta kuma ba da umurnin mayar da al-Bashir zuwa inda ake tsare da shi domin cigaba da bincikar sa kan zargin juyin mulkin da ya kawo gwamnatinsa a 1989. Alkalin ya bayyana cewa a bisa tsarin dokar kasar ba za a iya kai al-Bashir gidan kaso ba saboda ya wuce shekara 70. Omar al-Bashir na kuma fuskantar shari'a kan juyin mulkin da ya kawo gwamnatinsa a shekarar 1989 da zargin aikata kisan kiyashi da kuma kashe masu zanga-zanga kafin a hambarar da shi a watan Afrilu. A lokacin da ake gabatar da hukuncin, magoya bayan al-Bashir na ta kuwwar cewa \"siyasa ce\", kafin a kora su. Sai suka koma gefe inda suke ta yin Kabbara. Har yanzu dai ba a san cewa ko a za tuhumi al-Bashir kan cin zarafin bil adama da ya auku a lokacin mulkinsa ba da kuma zargin aikata laifukan yaki a Darfur. Me 'yan adawa suka ce? Yan adawa a Sudan na zargin sassauci a hukuncin daurin shekara biyu da kotu ta yanke wa tsohon shugaban kasar Omar al-Bashir. Sai dai alkalin ya ce kotun ba ta da hurumin daure al-Bashir wanda ya haura shekara 70 a gidan yari, a don haka sai dai a tsare tsoho shugaban a gidan gyara halinka. Jaridar Al-Taghyeer ta masu adawa a Sudan ta ce hukuncin kotu ya yi sassauci ga al-Bahir wanda ya mulki kasar na tsawon shekara 30."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-50937064", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-50937521", "doc1": "গণহারে হত্যার ঘটনায় সাধারণত সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গত অগাস্টে এল পাসোতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। অ্যাসোসিয়েট প্রেস-এপি, ইউএসএ টুডে এবং নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে যে তথ্যভাণ্ডার জোগাড় করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, মোট ৪১টি গণহারে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যাতে প্রাণ হারিয়েছে মোট ২১১ জন। গণহারে হত্যা বলতে, যে হামলার ঘটনায় হামলাকারী ব্যতীত চার বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষ মারা গেছে সেসব ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। ২০১৯ সালে যেসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ছিল সেগুলো হচ্ছে, গত মে মাসে ভার্জিনিয়া সৈকতে হামলায় ১২ জন এবং অগাস্টে এল পাসোতে হামলায় ২২ জনের মৃত্যু। ২০১৯ সালের ৪১টি ঘটনার মধ্যে ৩৩টিতে আগ্নেয়াস্ত্র জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। স্টেট এর ভিত্তিতে দেখলে সবচেয়ে বেশি গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। মোট আটটি ঘটনা ঘটেছে সেখানে। ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে হত্যার ঘটনা পর্যায়ক্রমে শনাক্ত করে এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। তবে ১৯৭০ এর দশকের কোন গবেষণাতেও এতো বেশি গণহারে হত্যার ঘটনা সম্বলিত কোন বছরের উল্লেখ পাওয়া যায়নি, বলছে এপি'র প্রতিবেদন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গণহারে হত্যার ঘটনা- মোট ৩৮টি ঘটেছিল ২০০৬ সালে। সম্পর্কিত পুরনো খবর: লাস ভেগাস কনসার্টে গুলি: কে এই হামলাকারী? আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করার পথে আরেক ধাপ এগোলেন ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করা মার্কিন সিরিয়াল কিলার? শব্দের চেয়ে বিশগুণ গতির মিসাইল মোতায়েন রাশিয়ার তবে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটলেও এ ধরণের হামলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল ২০১৭ সালে। চলতি বছর ২১১ জন মারা গেলেও ওই বছর বিভিন্ন ঘটনায় ২২৪ জন মানুষ মারা যায়। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গুলির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছিল। লাস ভেগাসে একটি উৎসবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল ৫৯ জনকে। গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক গণহারে হত্যার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয় না। কারণ ওই সব ঘটনায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব, মাদক ব্যবসা বা গ্যাং সহিংসতা জড়িত থাকে এবং এগুলো জনসমক্ষে ঘটে না। যুক্তরাষ্ট্রে মোট হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমলেও গণহারে হত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে, বলেন মিনেসোটার মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অপরাধবিজ্ঞানী অধ্যাপক জেমস ডেনসলি। \"হত্যাকাণ্ডের শতকরা হার হিসেবে এই গণহারে হত্যার ঘটনাগুলো বেশি হারে প্রাণহানির জন্য দায়ী,\" এপি-কে তিনি একথা বলেন। অধ্যাপক ডেনসলি বলেন, মার্কিন সমাজের \"ক্রোধ এবং হতাশার\" পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে হঠাৎ করে এ ধরণের ঘটনার বৃদ্ধি। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অপরাধের প্রবণতা হচ্ছে ঢেউয়ের মতো করে একটার প্রভাবে আরেকটা ঘটতে থাকা। \"এই সময়টা হচ্ছে গণহারে গুলির ঘটনার সময়,\" তিনি বলেন। মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর সময় বন্দুকের মালিকানার অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং গণহারে গুলির ঘটনা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সংস্কার আনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-প্রণেতাদের তেমন প্রভাবিত করেনি। গত অগাস্টে ডেটন, ওহাইয়ো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে প্রাণঘাতী হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকদের \"অর্থবহভাবে\" অতীত অনুসন্ধান করে দেখার বিষয়ে কংগ্রেস নেতাদের সাথে \"জরুরী আলোচনা\" হবে। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে থাকা প্রভাবশালী লবি গ্রুপ- ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ওয়েনি লা পিয়েরের সাথে লম্বা ফোনালাপের পর ওই প্রতিশ্রুতি থেকে চুপচাপ সরে এসেছিলেন মিস্টার ট্রাম্প। ফোনালাপের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে \"বর্তমানে খুব কঠোরভাবে অতীত অনুসন্ধান করে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে,\" এবং বলেন যে, গণহারে গুলির ঘটনা এক ধরণের \"মানসিক সমস্যা\"। লাস ভেগাসে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সহমির্মতা জানাতে আসে হাজারো মানুষ। নেতৃস্থানীয় ডেমোক্রেটরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জনসমক্ষে আহ্বান জানিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে, স্যান্ডি হুক স্কুলে গুলির ঘটনার ৭ম স্মরণানুষ্ঠানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতিমালা প্রণয়নে আবারো আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিস্টার বাইডেনের পরিকল্পনায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং হামলার উপযোগী অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞাসহ সব ধরণের বন্দুক বিক্রির সময় ক্রেতাদের অতীত সম্পর্কে অনুসন্ধান বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। আরেক ডেমোক্রেট মনোনয়ন প্রত্যাশী এলিজাবেথ ওয়ারেন চলতি বছরের শুরুর দিকে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন যেখানে গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৮০ ভাগ কমিয়ে আনতে নীতিমালা এবং নির্বাহী পদক্ষেপ যৌথভাবে গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। মিজ ওয়ারেন অতীত বিষয়ে কঠোর অনুসন্ধান ছাড়াও আইন ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের সক্ষমতা থাকারও প্রস্তাব করেন। আরো খবর: শাহজালালের অত্যাধুনিক নতুন টার্মিনালে কী থাকবে ভেসে আসা 'ভুতুড়ে নৌকায়' মানুষের দেহাবশেষ কাবা অবরোধ: সৌদির ইতিহাস পাল্টে দেয়া ঘটনা বিবাদে না জড়িয়ে কীভাবে দ্বিমত প্রকাশ করবেন", "doc2": "Akalla mutum 22 aka kashe a harin El Paso a Texas a watan Agusta Binciken wanda kamfanin dillacin labaru na AP da USA Today da kuma jami'ar Northeastern suka gudanar ya tattara bayanai ne daga abubuwan 41 da suka faru, da suka shafi mutuwar sama da mutum 200. Kashe-kashen a binciken na nufin duk inda aka kashe mutum hudu ko fiye a lokaci guda. Binciken ya bi diddigin kashe-kashen da suka faru ne a Amurka tun 2006, kuma sakamakon binciken ya ce shekarar 2019 ne aka fi yawan kashe jama'a lokaci guda inda yawan wadanda aka kashe a shekarar suka kai 224 fiye da adadin wadanda aka kashe a 2017 inda aka kashe mutum 211. Shekarar 2017 ce binciken ya ce aka bude wa taron jama'a wuta mafi muni a tarihin Amurka, inda aka harbe mutum 59 a wani taron biki a Las Vegas. Daga cikin mafi muni a 2019 shi ne kisan mutum 12 a Virginia a bakin teku a watan mayu da kuma mutum 22 da aka harbe a El Paso a Agusta. Kuma jihar California ce binciken ya ce aka fi kashe mutane fiye da sauran jihohin Amurka. Binciken ya ce akwai kashe-kashen mutane a Amurka da ba su shiga kanun labarai ba saboda sun shafi ringingimu 'yan uwa da masu hada-hadar muggan kwayoyi, da ba su bazu ba suka shafi al'umma ba. Yawan budewa taron jama'a wuta ya karu a Amurka a cewar masu binciken duk da an samu raguwar yawan kisan mutum daya da ake samu. Duk da wannan, amma yunkurin takaita mallakar bindiga ya cutura. Kisan jama'a na jefa mutane cikin jimami Hakkin mallakar bindiga na kunshe a kundin tsarin mulkin Amurka da aka yi wa gyaran fuska, amman karuwar kisan jama'a bai zama dalilin da zai sa 'yan majalisar dokokin Amurka yin garanbawul ga batun mallakar bindiga ba a kasar. A watan Agusta da aka kai munanan hare hare a Ohio da El Paso da Texas, shugaba Trump ya ce za a yi muhimmayar tattaunawa tsakanin shugabannin majalisa kan mallakar bindiga. Akwai wasu daga cikin Jiga-jigan jam'iyyar Democrats mai hamayya da suka bukaci daukar mataki kan mallakar bindiga, kuma dan takarar shugaban kasa kuma tsohon mataimakin shugaban kasa Joe Biden na daga cikinsu, wanda ke son haramta kerawa da sayar da bindigogi tare da sa ido ga sayar da bindigogin. Haka ma Elizabeth Warren ta yi alkawalin rage yawan kashe-kashe ta hanyar bindiga da kashi 80."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-38903313", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-43481299", "doc1": "স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, \"পুরো ঘটনাটাই বানোয়াট, ছাত্রীদের সঙ্গে ওরকম কিছুই ঘটেনি\"। ছাত্রীদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন, যে তাদের স্কুলের মাঠে কান ধরে প্রথমে 'নীল-ডাউন' করিয়ে রাখা হয় আর তারপরে তাদের পরনের স্কার্ট খুলে স্কুলের মাঠে দৌড়াতে বলা হয়। সোনভদ্র জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, \"পুরো ঘটনাটাই বানোয়াট, ছাত্রীদের সঙ্গে ওরকম কিছুই ঘটেনি\"। গত শুক্রবার অষ্টম শ্রেণীতে বাড়ির পড়া হিসাবে সংস্কৃত শ্লোক শিখে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন, শনিবার, জনা পনেরো ছাত্রী পড়া না শিখে স্কুলে এসেছিল। তখনই তাদের প্রথমে নীল ডাউন ও পরে স্কার্ট ছাড়া স্কুলের মাঠে দৌড়াতে বলা হয়। এক ছাত্রী স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, \"স্কার্ট ছাড়া আমাদের প্রথমে মুর্গা (কান ধরে নীল-ডাউন করে শাস্তি দেওয়ার ভারতীয় প্রচলিত নাম মুর্গা) করে বসিয়ে রাখা হয়, তারপরে স্কুলের মাঠে দৌড়াতে বলা হয়। মাঠে সেই সময়ে অনেক ছেলেও বসেছিল। আমাদের পায়ে মারা হচ্ছিল। একজন ছাত্রী মার খেয়ে ঝোপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল\"। ছাত্রীরা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই অভিযোগও করেছে যে পুরো ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয় যে বাড়ির পড়া না শিখে এলে ইন্টারনেটে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: বিমানবাহিনীকে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিতে বললেন পুতিন ট্রাম্পকে ভোট দেয়ায় ভাঙলো ২২ বছরের সংসার ব্রিটেনে ৩০টি গীর্জার স্কুলে পড়ুয়া অধিকাংশই মুসলিম প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগ, মিললো বাবা-মায়ের কঙ্কালও ভারতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কোনও রকম শুধু দৈহিক শাস্তি নয়, অপমানজনক কথা বা মানসিক নির্যাতন করাও আইনত নিষিদ্ধ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মীনা সিং অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, \"এসব কিছু হয়ই নি। সামান্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ওরা মাস দুয়েক ধরে বাড়ির পড়া না শিখে স্কুলে আসছিল। অনেকবার বলেও লাভ হয়নি\"। সোনভদ্রের জেলা শাসক চন্দ্রভূষণ সিং বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, \"অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারা খুব তাড়াতাড়িই রিপোর্ট জমা দেবে। তারপরে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবো\"। ভারতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কোনও রকম শুধু দৈহিক শাস্তি নয়, অপমানজনক কথা বা মানসিক নির্যাতন করাও আইনত নিষিদ্ধ। তবুও মাঝে মাঝেই এ ধরনের খবর পাওয়া যায় যে ছাত্র-ছাত্রীদের চড় মারা বা দৈহিক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুদের সামনে অপমানজনক কথাও বলে থাকেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা। সেই অপমান সহ্য না করতে পেরে ছাত্র বা ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে, এমন ঘটনাও হয়ে থাকে। আইনের বিধান থাকলেও খুব কম ক্ষেত্রেই শিক্ষক বা শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে এ ধরনের কাজের জন্য।", "doc2": "Daliban sun yi zanga-zangar ne rike da kankana a hannayensu An watsa hoton bidiyon da aka dauka a lokacin da malamin ke fada wa dalibar wannan kalma a kafafan sada zumunta a cikin karshen makon daya gabata, lamarin da ya janyo ce-ce-ku-ce a kai, inda mutane ke ta mayar da martani a fusace, musamman mata. Wannan hoton bidiyo da aka sanya a kafafan sada zumuntar, shi ya har zuka wasu dalibai inda suka bi tituna, hannayensu kuma rike da kankanar da aka yayyanka suna zanga-zangar kin amincewa da irin wadannan kalamai ga mata. Malamin dai farfesa ne, wanda ke koyarwa a kwaleji horarwa ta Farook da ke Kerala, ya kuma fada wa dalibar kalmar ne saboda yanayin shigar da ta yi inda ta bar kirjinta a waje, da kuma wasu sassa na jikinta. Wannan shiga da dalibar ta yi ne ya fusata farfesan, saboda ya ga kamar ba ta yi shigar mutunci ba, shi ya sa ya ce mata, mamanta kamar kankana. Wata kungiyar kare hakkin matasa a jihar, ta ce ba za ta lamunci cin zarafin mata ta hanyar fada musu duk maganar da aka ga dama ba. Duk wani yunkuri da manema labarai suka yi don jin ta bakin hukumar gudanarwar kwalejin ko kuma malamin a kan wannan batu, ta ci tura."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-41366668", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/vert-cul-41364345", "doc1": "শেখ সাদ আল হাজারি নামের ওই ইমাম বলেছেন, \"নারীদের মাথায় এমনিতেই অর্ধেক বুদ্ধি আছে, আর কেনাকাটার পর তাদের মাত্র ২৫ শতাংশ বুদ্ধি বজায় থাকে\"। সৌদি আরবের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত আসির অঞ্চলে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান শেখ হাজারি। একদিন এক আলোচনার প্রাক্কালে নারীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার এই মন্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে পড়ে ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই প্রেক্ষাপটে আসির অঞ্চলের গভর্নর শেখ হাজারিকে ধর্মপ্রচার এবং অন্য যে কোনো ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এখানে উল্লেখ্য, সৌদি আরবে নারীরা গাড়ি চালাতে পারে না। যদিও দেশটিতে কোনো আইনে নেই যে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ৩ মাইল লম্বা বিয়ের শাড়ি পরে বিতর্কের মুখে দম্পতি রোহিঙ্গাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস পরীক্ষার চিন্তা রোহিঙ্গা শিশুদের ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ উবারের লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে না লন্ডনে", "doc2": "Malamin ya ce kaifin tunanin mata rabin na maza ne, kuma da zarar sun kammala cefane idan suka je kasuwa to aikin kwalkwalwar tasu na zama rubu'in na namiji. A wani bidiyo da ya yi ta yawo a kafafen sada zumunta, Sheikh Sa'ad al Hajari ya ce kaifin tunanin mata rabin na maza ne, kuma da zarar sun kammala cefane idan suka je kasuwa to aikin kwalkwalwar tasu na zama rubu'in na namiji. Daman dai ba a amince wa mata su yi tuki ba a kasar duk da cewa babu wata doka kan hakan. Tsokacin da Sheikh Sa'ad al- Hajari ya yi kan batun haramtawa mata a Saudiyya tuka mota, ya yi ta yawo a shafukan sada zumunta da muhawara. Al Hajari ya fara ne da cewa an halicci mata da kankanuwar kwakwalwa, don haka maza suka fi su kaifin fahimta. Bai tsaya a nan ba sai da ya kara da cewa: \"Mata ba su da cikakkiyar kwakwalwa, rabi aka ba su, da zarar kuma sun kammala sayayya a manyan shaguna, rabin kwakwalwar na koma wa kwata.\" Don haka ya dasa ayar tambaya, \"Shin za a bar mutumin da ba shi da cikakkiyar kwakwalwa ya tuka mota?\" Martanin da mabiya shafinsa suka mayar ba mai dadi ba ne, hasali ma wasu na ganin bai kamata a matsayin da ya ke da shi na babban malamin addinin musulunci, ya yi kalami irin haka ba. Wasu ma na ganin ya kamata ma hukumomin Saudiyya su dakatar da shi daga yi wa al'umma wa'azi ko yin Limancin Sallah."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46283730", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46284600", "doc1": "অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ''তাদের ঋণ শোধ হয়ে যাওয়ার এসব সনদ আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে তুলে দিতে চাই।'' নিজের ব্লগ পাতায় মঙ্গলবার তিনি লিখেছেন, ১৩৯৮জন কৃষকের ঋণের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের সবার কৃষি ঋণের বকেয়া অর্থ তিনি ব্যাংকে শোধ করে দিয়েছেন, যা তাকে কোন কিছু 'সম্পন্ন' করার অনুভূতি দিয়েছে। এই কৃষরা ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা, যেখানে অমিতাভ বচ্চনের জন্ম হয়েছিল। ভারতে প্রতিবছর হাজার হাজার কৃষক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। কয়েক দশক ধরে খরা, পানির জন্য খরচ, উৎপাদনে হ্রাস এবং আধুনিকায়নের অভাবে ভুগছে দেশটির কৃষিখাত। এসব কারণে অনেক কৃষকের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ১৯৯৫ সাল থেকে এসব কারণে অন্তত তিন লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কয়েক দশক ধরে খরা, পানির জন্য খরচ, উৎপাদনে হ্রাস এবং আধুনিকায়নের অভাবে ভুগছে ভারতের কৃষিখাত এখন ৭৬ বছর বয়সী অমিতাভ বচ্চন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর বিখ্যাত তারকাদের একজন। তিনি যেসব কৃষি ঋণ শোধ করে দিয়েছেন, সেগুলো ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছে ছিল। এই ঋণ শোধের পর ব্যাংকটি এই কৃষকদের নামে এককালীন নিষ্পত্তি সনদ দিয়ে দিয়েছে। অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ''তাদের ঋণ শোধ হয়ে যাওয়ার এসব সনদ আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে তুলে দিতে চাই।'' কিন্তু এতো কৃষককে মুম্বাই শহরে নিয়ে আসা কঠিন একটি ব্যাপার, যে শহরে অমিতাভ বচ্চন বসবাস করেন। আপাতত রেলের একটি বগি সংরক্ষিত করা হয়েছে, যেখানে সত্তর জন কৃষক আসতে পারবেন এবং তার সঙ্গে দেখা করে নিজেদের নামের ঋণ শোধের সনদটি নিয়ে যেতে পারবেন। ২৬ নভেম্বর এই কৃষকরা মুম্বাই আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: ভোটের সময় পর্যবেক্ষণে বিধিনিষেধ কি প্রভাব ফেলবে? 'মুক্ত বাতাসে নি:শ্বাস নিচ্ছি': শহিদুল আলম এ বছরের শুরুর দিকে অমিতাভ বচ্চন মহারাষ্ট্র রাজ্যের ৩৫০জন কৃষকের ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছিলেন। ঋণের ছাড় আর কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূলের দাবিতে গত বছর রাজ্যটির হাজার হাজার কৃষক বিক্ষোভ করেছিলেন। যদিও এই নামী অভিনেতার বিষয়ে কৃষি জমি নিয়ে বিতর্ক আছে। ২০০৭ সালে একটি আদালত রুল জারি করেছিল যে, তার নামে যে ৯০ হাজার বর্গফুটের জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, তা বেআইনিভাবে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও আনা হয়েছিল। তবে ওই জমি থেকে তিনি দাবি তুলে নেয়ার পর সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। ১৯০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এখনো অনেক চলচ্চিত্রে তার তারকাময় পদচারণা রয়েছে। ভারতে সবচেয়ে দেখা টেলিভিশন অনুষ্ঠান 'কোন বনেগা ক্রোড়পতি' অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনাও করেছিলেন তিনি।", "doc2": "Jarumin ya bayyana hakan ne a shafinsa na intanet a ranar Talata, inda ya ce manoman da ya biyawa bashin sun kai 1,398. Kuma dukkaninsu sun fito ne daga jihar Uttar Pradesh, inda nan ne mahaifar Amitabh. Dubban manoma a kasar Indiya dai na fama da dimbin bashi, wanda sukan jima ba su biya ba. Bangaren aikin noma na matukar samun koma baya a kasar, inda a wasu lokutan ba a fiye samun amfanin mai gona mai yawa ba. An kiyasta cewa tun daga shekarar 1995, manoma akalla dubu 300 sun kashe kansu a kasar ta Indiya, saboda dalilin da ke da alaka da bashin da ake binsu. Yawanci dai manoman na ciwo bashin ne daga bankuna kasar domin su yi aikin noma, to amma wajen biya ne ake kai ruwa rana. Wane ne Amitabh Bachchan? Yana daya daga cikin manyan jaruman kasar Indiya da suka yi suna a duniya. Jarumi ne kuma ya taba shiga harkar siyasa a baya. An haife shi a ranar 11 ga watan Oktoban 1942, shekararsa 76 ke nan a 2018. Ya fito a fina-finai fiye da 190, kazalika ya fito a fina-finan da bana kasarsa ba, wato fina-finan Hollywood. Ya kan gabatar da manyan shirye-shirye a gidan talabijin din kasarsa wadanda mutane ke son kalla, bama a kasar ba kawai har ma da wasu kasashen duniya. Ya auri jaruma Jaya Bachchan, inda suka haifi 'ya'ya biyu mace da namiji, namijin Abhishek Bachchan, shi ma jarumi ne, kuma ya auri jaruma Aishwarya Rai."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46773093", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-49201692", "doc1": "এখন থেকে বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার খবর খুদে বার্তায় পাবেন সৌদি নারীরা। কারো বিচ্ছেদের আবেদন অনুমোদন হলে আদালত এসএমএস পাঠিয়ে নারীদের নিশ্চিত করবে। রবিবার থেকে নতুন আইনটি কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় নারী আইনজীবীরা বলছেন, এর ফলে দেশটিতে নারীদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বিচ্ছেদের প্রবণতা বন্ধ হবে, যা দেশটিতে 'গোপন তালাক' নামে পরিচিত। যার ফলে স্ত্রীদের কোন কিছু না জানিয়েই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারতেন স্বামীরা। ফলে নতুন এই নির্দেশনায় নারীরা তাদের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারবেন এবং বিয়ের পরবর্তী খোরপোশের অধিকার রক্ষা করতে পারবেন। আরো পড়ুন: বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের যে অভিনব প্রতিবাদ সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না আসলেই কি সৌদি নারীরা নিপীড়িত, পরাধীন? সৌদি নারীদের গোপন ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন গত বছর থেকে সৌদি নারীদের গাড়ি চালনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। দেশটির নারীদের ওপর গাড়ি চালনায় কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার পর গত বছর থেকে সেটি তুলে নেয়া হয়। তবে এখনো দেশটির নারীদের পুরুষ অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। সৌদি আইনজীবী নাসরিন আল-গামদি ব্লুমবার্গ ম্যাগাজিনকে বলেছেন, '' নতুন এই পদক্ষেপে বিচ্ছেদের পরে নারীরা তাদের অধিকার রক্ষা করতে পারবেন। পাশাপাশি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারও রোধ হবে।'' সৌদি আরবের অনেক নারী দেশটির আদালতে আপিল করেছেন যে, তাদেরকে কোন রকম অবহিত না করেই 'তালাক' দিয়েছেন তাদের স্বামীরা, বলছেন আইনজীবী সামিয়া আল-হিনদি। বলা হচ্ছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার কর্মসূচীর অংশ হিসাবে নতুন এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যিনি এর আগে সেদেশে নারীদের মাঠে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখার সুযোগ এবং পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত চাকরিতে নারীদের চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিরোধী দলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে জাপা? সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণফোরাম ভারত ও চীনের সাথে কিভাবে ভারসাম্য করছে সরকার নতুন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ কী পুরুষ অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া সৌদি নারীরা অনেক কাজ করতে পারেন না। সৌদি আরবে এখনো নারীরা কোন কাজগুলো করতে পারেন না? একজন পুরুষ অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া সৌদি আরবের নারীরা এখনো অনেক কাজ করতে পারেন না। এই অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে স্বামী, বাবা, ভাই অথবা ছেলে। এসবের মধ্যে রয়েছে: এই পদ্ধতির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হন - তাদের মধ্যে সৌদি আরবের নারীরাও রয়েছেন।", "doc2": "Dokar ta bai wa mata damar gudanar da wasu lamura da a baya ba sa iya yi Ana ganin matakin wani bangare ne na sauye-sauyen da Yarima Muhammad Bin Salman ke gabatarwa a kasar, wadanda suka shafi fannonin rayuwa daban-daban. Sabuwar dokar, wacce ta fara aiki da misalin karfe 12 na dare agogon Jiddah, ta ce a yanzu za a bar mata da shekarunsu suka haura 21 su nemi fasfo, sannan su yi tafiya zuwa kasashen ketare. Wannan sauyi zai ba su damar yin wasu abubuwa masu alaka da baluguro kamar yadda maza ke yi. Dokar ta kuma fadada damar da suke da ita ta neman aiki. A yanzu dukkan 'yan kasar na da damar yin aiki ba tare da nuna wani banbanci ba. Kafin yanzu, dole mace ta nemi izinin mijinta, ko mahaifi, ko kuma wani dan uwanta namiji kafin ta karbi fasfo ko ta yi tafiya zuwa kasashen waje. Za kuma su iya yin rajistar haihuwa da rashi, wanda a baya ba su damar yin hakan. Wadannan sauye-sauye na zuwa ne a daidai lokacin da kungiyoyin kare hakkin bil'adama ke kara matsawa kasar lamba kan batun hakkin mata. A don haka wasu na ganin kamar bayar da kai ne ga irin wannan matsi. Saudi Arabiya kasa ce da ta yi fice wurin bin tafarkin addinin Musulunci sau da kafa, kuma a bar koyi ga al'ummar Musulmai da dama. A don haka yayin da wasu musamman a kasashen yamma ke kallon irin wadannan sauye-sauye a matsayin ci gaba, wasu al'ummar Musulmai a ciki da wajen kasar, na yi musu kallon koma-baya da kuma kaucewa tafarkin da wadanda suka gina kasar suka dora ta a kai."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53980930", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53983034", "doc1": "যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। রাজকীয় একটি আদেশে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে অব্যাহতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। মি. ফাহাদের ছেলে আবদুলাজিজ বিন ফাহাদকেও ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দুইজনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে 'সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের' অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে ওই রাজকীয় আদেশে বলা হয়েছে। সরকারের ভেতর কথিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করছেন বাদশাহের ছেলে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। তবে সমালোচকরা বলেন, শীর্ষ পদের এসব গ্রেফতারের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুবরাজের ক্ষমতা গ্রহণের বাধাগুলো দূর করা। আরো পড়তে পারেন: যুবরাজ মোহাম্মদকে চ্যালেঞ্জ করছে যে সৌদি যোদ্ধা গোষ্ঠী কীভাবে এত ঘনিষ্ঠ হতে পারলো ভারত ও সৌদি আরব? সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে অব্যাহতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। এর আগে এই বছরের শুরুর দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে, বাদশাহর ছোটভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুলাজিজ ও সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়িফসহ তিনজন জ্যেষ্ঠ রাজ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে যখন রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীকে রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রের তহবিলে ১০৬.৭ বিলিয়ন ডলার দেয়ার সমঝোতায় তাদের বেশিরভাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পঁয়ত্রিশ বছরের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে বেশ কিছু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার আনার কারণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হন। তবে বেশ কিছু স্ক্যান্ডালেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ড এবং কানাডায় সাবেক একজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার কথিত অভিযোগ। ইয়েমেনে অব্যাহত যুদ্ধের জন্যও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে, যেখানে সরকারপন্থী বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব। নারীদের গাড়ী চালনা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হলেও নারী অধিকার কর্মীদের ওপর বিরূপ আচরণের জন্যও তার সমালোচনা রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইউএই-ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম ‘ঐতিহাসিক‘ ফ্লাইট লাদাখে চীনের সৈন্যরা আবারও সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে: ভারত সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্কে হঠাৎ অবনতি, কাশ্মীরই একমাত্র কারণ নয় ই-কমার্সে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি'র সাথে অনাস্থার যে সম্পর্ক", "doc2": "Ana yi wa Yarima Mai Jiran Gado Mohammed bin Salman kallon shugaban Saudiyya Wata sanarwa ta bayyana cewa Sarki Salman ya sauke Yarima Fahad bin Turki daga kan mukaminsa na kwamandan hadakar dakarun tsaron kasar da ke jagorantar yakin da ake yi a Yemen. Kazalika an sauke dansa, Abdulaziz bin Fahad, daga mukamin mataimakin gwamna. Mutanen biyu, tare da karin mutum hudu, suna fuskantar bincike bisa \"zargin wadaƙa da kudi\" a Ma'aikatar Tsaron kasar. Yarima Mai Jiran Gadon Sarautar Saudiyya Mohammed bin Salman, wanda shi ne dan sarkin kuma ake yi masa kallo a matsayin mutumin da zai gaji Sarki Salman, yana jagorantar yaki da cin hanci da ake zargin ana aikatawa a gwamnati. Sai dai masu suka na cewa yana yin hakan ne da zummar kawar da mutanen da ka iya yi masa zagon-kasa a yunkurinsa na zama sarki. A farkon wannan shekarar, mujallar Wall Street Journal ta ruwaito cewa an kama manyan shugabannin gidan sarautar kasar guda uku, cikinsu har da kanin sarkin, Yarima Ahmed bin Abdulaziz da kuma tsohon Yarima mai jiran gado Mohammed bin Nayef. Babban abin da ya ja hankalin duniya kan yaki da cin hanci a Saudiyya shi ne kamen da aka yi wa wasu fitattun 'yan gidan sarautar kasar, ciki har da ministoci da 'yan kasuwa, inda aka tsare su a shahararren otal din nan na Ritz-Carlton da ke Riyadh a 2017. An saki galibinsu daga bisani, kodayake sai da suka bayar da dala biliyan 106.7. Yarima Mai Jiran Gado Mohammed bin Salman mai shekara 35, ya sha yabo daga kasashen duniya a 2016 lokacin da ya yi alkawarin kawo sauye-sauye a fannin tattalin arziki da zamantakewa a kasar da ke da wuyar sha'ani. Sai dai ya rika shan suka kan batutuwa da dama, ciki har da kisan dan jaridar Saudiyya Jamal Khashoggi a ofishin jakadancin kasar da ke Istanbul na Turkiyya. Kazalika, an caccake shi kan yadda yake tafiyar da yakin da ake yi a Yemen, inda dakarun tsaron da Saudiyya ke goyon baya suke luguden wuta, da kuma yadda yake musguna wa mata masu fafutikar kare hakkin dan Adam."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-53245321", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-53228258", "doc1": "চীনের উত্তর-পশ্চিমের জিনজিয়াং প্রদেশে সন্তানদের সাথে এক উইগর নারী চীনা গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের লেখা রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর এই ঘটনার তদন্ত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক নানা মহল। চীন অবশ্য এই রিপোর্টের দাবিগুলোকে 'ভিত্তিহীন' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউগরদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই চীনের সমালোচনা হচ্ছে। ধারণা করা হয় চীনে প্রায় ১০ লাখ উইগর ও অন্যান্য জাতির মুসলিম সংখ্যালঘুদের 'নতুন করে শিক্ষা' দেয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পে বন্দী করে রাখা হয়েছে। শুরুতে চীন এসব ক্যাম্পের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও পরে তারা দাবি করে যে সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে এই ধরণের ক্যাম্প পরিচালনা করা জরুরি পদক্ষেপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উইগরদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপের কারণে তুমুল সমালোচনার মুখে পরে চীন। ২০১৯ সালে বিবিসি'র করা এক তদন্তে উঠে আসে যে জিনজিয়াংয়ের মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে যেন তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে আলাদা হয়ে বড় হয়। আরো পড়তে পারেন: চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীনের মুসলিম বন্দী শিবিরগুলো এখন 'বৈধ' চীনে মুসলিম শিশুদের বিছিন্ন করার অভিযোগ অস্বীকার মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবিরে উইগুর মুসলিমরা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনায় চীনে অস্থিরতা রিপোর্টে দাবি করা হয়, উইগর নারীরা 'নির্মম' জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের শিকার হচ্ছে কী উঠে এসেছে রিপোর্টে? ঐ অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক তথ্য, আইনি কাগজপত্র এবং জিনজিয়াংয়ের নৃতাত্বিকভাবে সংখ্যালঘু নারীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় আদ্রিয়ান জেনজের রিপোর্টটি। রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয় যে সরকারি নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তান জন্ম দেয়ায় উইগার ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের ক্যাম্পে বন্দী করে রাখার হুমকি দেয়া হচ্ছে। রিপোর্টে আরে দাবি করা হচ্ছে যে যেসব নারী দুটির চেয়ে কম সন্তান জন্ম দিতে আইনিভাবে বৈধ, তাদের জরায়ুতে আইইউডি (ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস - যেটি সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য নারীদের গর্ভধারণ করা থেকে বিরত রাখে) প্রবেশ করানো হচ্ছে এবং অন্যদের বন্ধ্যা করানোর উদ্দেশ্যে জোর করে সার্জারি করানো হচ্ছে। মি. জেনজের বিশ্লেষণ অনুযায়ী জিনজিয়াংয়ের জনসংখ্যার স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির হারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. জেনজ বলেন, \"জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে এই ধরণের পতন অভূতপূর্ব, এখানে নির্মম একটা বিষয় রয়েছে। এটি উইগরদের বশে আনার জন্য বিস্তৃত একটি পরিকল্পনার অংশ।\" জিনজিয়াংয়ের বন্দী শিবিরে থাকা সাবেক সদস্যদের বক্তব্যে উঠে আসে যে সেখানে থাকা নারীদের গর্ভ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে তাদের মাসিক বন্ধ করতে বিভিন্ন রকম ওষুধ প্রয়োগ করা হতো তাদের ওপর। রিপোর্টে বলা হয়, \"সামগ্রিকভাবে দেখলে মনে হয়, তিন বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তান আছে যেসব নারীর, তাদের ঢালাওভাবে বন্ধ্যা করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।\" চীনের গোপন ক্যাম্প সোমবার প্রকাশিত হওয়া অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী জিনজিয়াংয়ের নারীরা আইনিভাবে বৈধ সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে বড় অঙ্কের জরিমানা ও ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়ছে। এপি'র একটি খবর অনুযায়ী, চীনে জন্ম নেয়া কাজাখ নারী গুলনার ওমিরজাখ তার তৃতীয় সন্তান জন্ম দেয়ার পর তার জরায়ুতে আইইউডি প্রবেশ করাতে নির্দেশ দেয়া হয়। দুই বছর পর, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে, সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে চারজন কর্মকর্তা তিনদিনের মধ্যে ১৭,৫০০ আরএমবি (২ হাজার পাউন্ড) জরিমানা দিতে নির্দেশ দেয় ওমিরজাখকে। দুটির বেশি সন্তান থাকাকে ওমিরজাখের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তারা। কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা এক সকজি বিক্রেতার কপর্দকহীন স্ত্রী ওমিরজাখকে হুমকি দেয়া হয় যে জরিমানার টাকা না দিলে তাকেও তার স্বামীর মত বন্দী শিবিরে নেয়া হবে। সোমবার প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টের দাবিগুলোকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 'ভিত্তিহীন' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং এই রিপোর্টের পেছনে 'প্রচ্ছন্ন কারণ' রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। গণমাধ্যমগুলো 'জিনজিয়াং সম্পর্কিত বিষয়ে মিথ্যা তথ্য বানাচ্ছে' অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মন্তব্য করেছেন। চীনের এক সন্তান নীতি অনুযায়ী কয়েক দশক ধরে শহরে থাকা সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ দু'টি সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় আসছে, যেখানে গ্রামে বাস করা সংখ্যালঘুদের জন্য এই সংখ্যা ছিল তিনটি। ২০১৭ সালে শি জিনপিংয়ের অধীনে হওয়া নীতিগত পরিবর্তনে জাতিগত প্রভেদটি বাদ দেয়া হয় এবং হান বংশদ্বূত চীনাদের সংখ্যালঘুদের সমান সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। মি. জেনজের রিপোর্টে জিনজিয়াংয়ে জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে উগরদের 'গণহত্যার উদ্দেশ্যে জনতাত্বিক ক্যাম্পেইন' হিসেবে বিবৃত করা হয়েছে।", "doc2": "Wani tsohon hoto na wata mace tare da yaranta a China a arewa maso yammacin lardin Xinjiang Rahoton wani malami a China Adrian Zenz ya janyo kiraye-kiraye daga sassan duniya cewa ya kamata Majalisar Dinkin Duniya ta gudanar da bincike na musamman kan abin da ke faruwa. China dai ta musanta wannan zargin da rahoton ya yi, ta kuma ce \"ba shi da tushe balle mkama\". Tuni ƙasar ke shan suka kan yadda ta tsare musulman Uighurs a wani sansani. An yi amannar cewa akwai aƙalla mutum miliyan ɗaya 'yan kabilar Uighurs kuma mafi yawansu musulmai ne tsiraru, a wani abu da ƙasar ta kira sansanonin \"ƙara ilimantarwa\". A baya, China ta musanta cewa akwai sansanonin ma, kafin daga baya ta kare su da cewa matakan dole ne na yaƙi da 'yan ta'adda, bayan rikicin 'yan a-ware a yankin Xinjiang. Bayanan da ke cikin rahoton Mista Zenz ya haɗar da wanda aka samo daga jami'ai, da kuɗin tsare-tsare da kuma tattaunawar da aka yi da wasu mata 'yan kabilar Xinjiang. Ya yi zargin cewa ana yi wa matan kabilar Uighur barazanar za a kai su gidan yari idan suka ƙi zubar da cikin da suke da shi. Matan Uighur na fuskantar mummunan tsarin takaita haihuwa kamar yadda marubucin ya bayyana Ana cewa matan da ke da yara ƙasa da biyu ana barinsu a hukumance su sha maganin zubar da ciki bisa raɗin kansu, su kuma sauran ana tilasta musu shan maganin ko kuma yin tiyatar hana ɗaukar ciki. Daga bayanan da Mista Zenz ya tattara, tun gabanin wannan lamari adadin mutanen da ke yankin Xinjiang ya ragu sannu a hankali cikin shekarun baya. Inda adadin ya ragu da kusan kashi 84 cikin 100 a manyan yankuna biyu na Uighur tsakanin shekarar 2015 zuwa 2018 kuma ya ci gaba da raguwa a 2019. A tsohon sansanin da ake tsare mutanen da ke yankin Xinjiang, an ce allura ake yi wa matan don a tsayar da jinin al'adarsu, saboda yawan zubar jini akai-akai na da tasiri ga aikin ƙwayoyin da ke hana haihuwa. \"Duka dai, hukumomi a Xinjiang na yin wannan azabtarwar ne da sunan kare mata daga haihuwar yara sama da uku,\" in ji rahoton. 'Yan siyasa na ta kiran MDD ta yi bincike A wata sanarwa da aka fitar ranar Litinin, wasu jam'iyyun siyasa da kungiyoyin duniya da wasu 'yan siyasa ciki har da wakilin Amurka Sanata Marco Rubin, sun yi kira ga Majalisar Dinkin Duniya ta gudanar da bincike ba tare da nuna son rai ba cikin wannan al'amarin\". China na fuskantar matsin lamba kan yadda take muzgunawa 'yan kabilar Uighurs a baya-bayan nan. A wani bincike da BBC ta gudanar cikin 2019, ta gano cewa ana raba yara da iyayensu cikin dabara a wani mataki na fitar da su daga al'ummarsu ta musulmai. Wani ɓoyayyyen sansanin da ake tsare mutane A cewar wani rahoto da kamfanin dillancin labarai na AP ya wallafa ranar Litinin, Ana cin tarar matan kabilar Xinjiang ko kuma yi musu barazanar ɗauri, idan suka karya dokar taƙaita mallakar 'ya'ya. Gulnar Omirzakh, haifaffiyar ƙasar China ce, an kuma umarce ta da shan kwayoyin hana haihuwa bayan ta haifi yaronta na uku kamar yadda rahoton AP ya bayyana. Shekara biyu bayan nan a watan Janairun 2018, wasu jami'an soji suka ƙwanƙwasa mata gida tare da ba ta takardar cin tararta kudi da suka kai fam 2,000 saboda haihuwar yara sama da biyu. An kama mijinta a baya, inda aka tsare shi. Ita kuma Gulnar sai aka yi mata barazanar daure ta a inda ake tsare da mai gidanta idan ba ta biya kudin ba."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-57233334", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-57227009", "doc1": "জেরুজালেমে পাশাপাশি উড়ছে আমেরিকা এবং ইসরায়েলের পাতকা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে বাম ঘরানার সবচেয়ে সুপরিচিত রাজনীতিক সেনেটর বার্নি স্যান্ডারস্‌ বলেছেন ইসরায়েলকে পাঠানো টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করা হচ্ছে সেদিকে “গভীর দৃষ্টি“ দিতে হবে। ইসরায়েল কী পায় এবং কোন কাজে তা লাগায়? ২০২০ সালে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন (৩৮০ কোটি) ডলার সাহায্য দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলে ইসরায়েলকে দীর্ঘমেয়াদী যে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার অধীনেই এই সাহায্য গেছে। প্রায় পুরোটাই ছিল সামরিক সাহায্য। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলের সাথে এক চুক্তি সই করেন যার অধীনে ২০১৭-১৮ সাল থেকে তার পরবর্তী ১০ বছর ইসরায়েল ৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ৩৮০০ কোটি ডলার সামরিক সাহায্য পাবে। তার আগে দশ বছরের তুলনায় ঐ সাহায্য বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ। এ বাদেও, গত বছর ইসরায়েলে নতুন অভিবাসীদের পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছে। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে ইহুদিরা ইসরায়েলে গিয়ে বসতি গড়তে চাইলে তাকে স্বাগত জানানোর নীতি বহুদিন ধরে সেদেশে রয়েছে। কীভাবে আমেরিকার টাকা খরচ করে ইসরায়েল? ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক একটি সামরিক শক্তিধর দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে সাহায্য করছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কেনার জন্য তহবিল যোগানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ইসরায়েল আমেরিকা থেকে ৫০টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনেছে যা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো যায়। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ১০ কোটি ডলার। ২৭টি বিমান ইতিমধ্যেই ইসরায়েল পেয়ে গেছে। বাকিগুলো পাওয়ার অপেক্ষায়। গত বছর ইসরায়েল আমেরিকার কাছ থেকে ২৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে আটটি কেসি-৪৬এ বোয়িং ‘পেগাসাস‘ বিমান কিনেছে। এই বিমান থেকে আকাশে এফ-৩৫ বিমানে জ্বালানি তেল ভরা যায়। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম‘ ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ২০২০ সালে ইসরায়েলকে আমেরিকা যে ৩৮০ কোটি ডলার দিয়েছে, তার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। এর মধ্যে রয়েছে ‘আয়রন ডোম‘ ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা যা দিয়ে ইসরায়েল রকেট হামলা প্রতিহত করে। ২০১১ সাল থেকে আমেরিকা ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম‘ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ১৬০ কোটি ডলার দিয়েছে। এ ছাড়াও, গাযায় গোপন সুড়ঙ্গ শনাক্ত করা সহ বেশ কিছু সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তৈরিতে আমেরিকা ইসরায়েলকে তহবিল ছাড়াও বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। ইসরায়েলের সরকার সমরাস্ত্র কেনা এবং সামরিক প্রশিক্ষণে বহু টাকা খরচ করে যার অনেকটাই আসে আমেরিকার দেওয়া সাহায্য থেকে। অন্যান্য দেশকে দেওয়া সাহায্যর সাথে তুলনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার কাছ থেকে একক দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে ইসরায়েল। ইউএসএইডের দেওয়া পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের পর আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য গেছে ইসরায়েলে। আফগানিস্তানকে দেওয়া সাহায্যের সিংহভাগই খরচ হয়েছে সেদেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমেরিকান সৈন্যদের বিভিন্ন চেষ্টার পেছনে। কিন্তু এখন যখন আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, ২০২১ সালে সেদেশের জন্য মাত্র ৩৭ কোটি ডলার সাহায্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ছাড়া মিশর এবং জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সাহায্যের অন্যতম প্রধান দুই গ্রহীতা। এই দুটো দেশের সাথেই অতীতে ইসরায়েলের যুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তারা দুই দেশই পরে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে। ২০১৯ সালে মিশর আমেরিকার কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার সাহায্য পেয়েছে। জর্ডানও একই পরিমাণ টাকা পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় এসে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া মানবিক সাহায্যের কিছুটা (২৩ কোটি ৫০লাখ ডলার) ছাড় করেছেন। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সাহায্য বন্ধ করে দেন। আমেরিকা ইসরায়েলকে কেন এত সাহায্য দেয়? আমেরিকা কেন ইসরায়েলকে এত সাহায্য দেয় তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক। ১৯৪৮ সালে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ছিল আমেরিকার। তাছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে কৌশলগত-ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসাবে বিবেচনা করে আমেরিকা - যে দুই দেশের লক্ষ্য অভিন্ন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখোমুখি হয়ে গাযায় ইসরায়েলি বোমা হামলার প্রতিবাদ করছেন মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ সার্ভিস বলছে: “ঐ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে এবং জোরদার করতে আমেরিকার সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।“ “মার্কিন প্রশাসন এবং দেশের অনেক রাজনীতিক বহুদিন ধরেই ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করেন।“ যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থা (ইউএসএইড) বলছে, “মার্কিন সাহায্যের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সম্ভাব্য ঝুঁকির মোকাবেলায় সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল।“ আমেরিকার সরকারি এই সংস্থাটি আরো বলছে, “আমেরিকান সাহায্যের উদ্দেশ্য ইসরায়েল যেন যথেষ্ট নিরাপদ থাকতে পারে যাতে তারা ফিলিস্তিনিদের সাথে এবং বৃহত্তর একটি আঞ্চলিক শান্তি স্থাপনে আস্থা এবং উৎসাহ পেতে পারে।“ আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন ফিলিস্তিন ইসরায়েল লড়াই কেন বাইডেনের বড় মাথাব্যথার কারণ গুগল ম্যাপে গাযার স্যাটেলাইট ছবি কেন ঝাপসা ইসরায়েল যাতে মধ্যপ্রাচ্যে হুমকি মোকাবেলা করতে পারে তা নিশ্চিত করা বহুদিন ধরেই আমেরিকার বিদেশ নীতির মুখ্য একটি উদ্দেশ্য। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুটো দলই দশকের পর দশক ধরে কোনো বিতর্ক ছাড়াই এই নীতি অনুসরণ করে আসছে। ২০২০ সালেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ইসরায়েলের প্রতি “লৌহ-বর্ম“ সমর্থনের প্রতিশ্রুত দেয়। কিন্তু সম্প্রতি দলের বাম এবং প্রগতিশীল একটি অংশ ইসরায়েলের প্রতি এতদিনের প্রশ্নাতীত এই সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ইসরায়েলকে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির যে প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন তা স্থগিত করার দাবি তুলেছেন সেনেটর স্যান্ডারস্‌ সহ কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশ কজন সদস্য।", "doc2": "Sanata Bernie Sanders ya ce dole ne Amurka ta yi zurfin tunani kan yadda ake kashe kuɗin. Ko nawa Isra'ila ke samu kuma me take yi da shi? Nawa Amurka ke bayarwa? A shekarar 2020, Amurka ta bai wa Isra'ila agajin dala biliyan 3.8 - wani ɓangare na wani alƙawari na shekara-shekara na dogon zango da aka ɗauka ƙarƙashin gwamnatin Obama. Kusan duka agajin da aka bayar a bara na ayyukan soja ne, a cewar Cibiyar Bincike ta Majalisar Dokokin Amurka, CRS. Yarjejeniyar, wadda tsohon Shugaba Barack Obama ya sa wa hannu a 2016 za ta zo ƙarshe a 2028. Wannan na nufin Isra'ila za ta samu kusan dala biliyan 38 a tallafin ayyukan soji. An samu ƙari kan yarjejeniyar da tsohon Shugaba George W Bush ya yi da Isra'ila, wadda yawan kuɗin da Amurka za ta bayar cikin shekara goma ya kai dala biliyan 30. Haka kuma, a shekarar da ta gabata Amurka ta bai wa Isra'ila dala miliyan biyar don amfani da shi wajen sama wa ƴan ci-rani matsugunai a Isra'ilar. Ƙasar na da wata daɗaɗɗiyar manufa ta amsar Yahudawa daga wasu ƙasashen duniyan a matsayin ƴan ƙasa. Yaya Isra'ila ta yi amfani da kuɗin na Amurka? A shekarun da suka wuce, tallafin Amurka ya taimaka wa Isra'ila samar da ɗaya daga cikin rundunonin soji mafi ƙarfi a duniya, inda kudin ya ba su damar sayen kayan aiki mafiya inganci daga Amurka. Misali, Isar'ila ta sayi jirgin yaƙi na 50 F-35 wanda ake iya amfani da shi wajen kai harin makami mai linzami - kawo yanzu 27 daga cikin jiragen sun isa Isra'ila kuma kowanne ya kai dala miliyan 100. Bara Isra'ila ta sayi jirgin Boeing KC-46A 'Pegasus' guda takwas kan dala biliyan 2.4. Waɗannan jiragen na iya zuba wa jiragen yaƙi kamar F-35 mai a sararin samaniya. Isra'ila ta samar da na'urar kakkaɓo roka ta \"Iron Dome\" Cikin dala biliyan 3.8 da aka ba wa Isra'ila a shekarar 2020, an ware dala miliyan 500 don kakkaɓo makamai masu linzami ciki har da inganta na'urar \"Iron Dome\" mai kakkaɓo rokoki da sauran tsare-tsare kakkaɓo rokoki. Tun 2011, Amurka ta bayar da tallafin dala biliyan 1.6 ga inganta na'urar Iron Dome. Haka kuma, Isra'ila ta kashe miliyoyi wajen haɗa kai da Amurka kan inganta fasahar soji kamar gano ramukan ƙarƙashin ƙasa da ake ginawa don shiga Amurka. Gwamnatin Isra'ila na zuba maƙudan kuɗi wajen sayen kayan yaƙi da horon dakarunta, ta hanyar amfani da tallafin. Idan aka kwatanta da sauran ƙasashen duniya Tun yaƙin duniya a biyu, Isra'ila ta kasance kasar da ta fi ko wacce samun tallafin Amurka. A 2019, shekara ta baya-bayan nan da aka wallafa cikakkun alkaluma, Isra'ila ce ƙasa ta biyu da ta fi ko wacce samun tallafin ƙasashen waje da Amurka ke bayar wa baya ga Afghanistan a cewar hukumar USAID. Mafi yawan kuɗin da aka bai wa Afghanistan din, an yi amfani da shi ne wajen tallafa wa ƙoƙarin Rundunar Sojin Amurka na samar da zaman lafiya a ƙasar, wadda yaƙi ya ɗaiɗaita tun da Amurkar ta tura sojojinta a 2001. Amma yanzu da ake shirin janye dakarun na Amurka daga Afghanistan nan da watan Satumban wannan shekarar, kusan dala miliyan 370 ne kawai aka buƙata a shekarar 2021. Isra'ila na karɓar kuɗi fiye da ko wace ƙasa a Gabas ta Tsakiya. Masar da Jordan su ma suna cikin manyan masu karɓar kuɗin tallafin Amurka. Ƙasashen biyu duk suna da yarjejeniyoyinsu na zaman lafiya da Isra'ila tunda duk sun taɓa yaƙi da ita. Ko wacce daga cikinsu ta samu kusan dala biliyan 1.5 na tallafin Amurka a 2019. A wani ɓangaren kuma, Shugaba Biden ya dawo da bayar da wasu kuɗi (dala miliyan 235) fa hukumar Majalisar Ɗinkin Duniya wadda ke taimaka wa ƴan gudun hijirar Falasɗinu. Gwamnatin Trump ta rage yawan wannan tallafin a 2018. Meya sa Amurka ke ba Isra'ila tallafi da yawa? Akwai dalilai da dama da Amurka ke bai wai Isra'ila tallafin kuɗi, ciki har da alkawarin da ke tsakanin ƙasashen biyu na tarihi wanda Amurka ta yi a 1948. Baya ga haka, Amurka na ganin Isra'ila a matsayin ƙawarta mai muhimmanci a Gabas ta Tsakiya - inda suke da burace-burace masu kama dangane da dimokuraɗiyya. Cibiyar Bincike ta Majalisar Dokokin Amurka ta ce: \"Tallafin da Amurka ke ba kasashen waje ya zama wani ginshiki na ƙarfafa ƙawance. \"Jami'an gwamnatin Amurka da ƴan majalisa sun daɗe da yi wa Isra'ila kallon ƙawa mai muhimmanci a yankin.\" Shugaba Biden ya fuskanci matsin lamba daga wasu ƴan Democrat kamar Rashida Tlaib bisa tallafin da a ke ba Isar'ila Hukumar gwamnatin Amurka da ke kula da tallafin da ƙasar ke bai wa ƙasashen waje ta ce: \"Tallafin Amurka na taimakawa wajen tabbatar da cewa Isra'ila na ci gaba da kula da ingancin rundunarta kan barazanar da ka iya tasowa daga yankin.\" Tabbatar da cewa Isra'ila za ta iya kare kanta daga duk wata barazana a yankin shi ne babban jigon manufar kasashen waje ta Amurka ga shugabannin Democrat da na Republican tsawon shekaru. A 2020, jam'iyyar Democrat ta bayyana cewa za ta bai wa Isra'ila \"ƙwaƙƙwaran tallafi\" amma wasu ƴan jam'iyyar a yanzu suna tantama kan tallafin na Amurka. Sanata Sanders da sauran ƴan Democrat suna ƙoƙarin ganin an dakatar da shirin sayar wa Isra'ila makamai na dala miliyan 735."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47347450", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-47343183", "doc1": "প্রিন্সেস রিমা প্রথম নারী হিসেবে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পেলেন তিনি হবেন প্রথম কোনো নারী যিনি সৌদি রাজতন্ত্রের দূত হিসেবে কাজ করবেন। শনিবার এক রাজকীয় ডিক্রি মারফত তার নাম ঘোষণা করে সৌদি সরকার। প্রিন্সেস রিমা তার শৈশবে বেশ কিছুদিন ওয়াশিংটনে কাটিয়েছিলেন। তিনি এমন একটি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের দূতের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন তাঁর দেশকে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা সইতে হচ্ছে। যদিও কিছুদিন পরস্পরবিরোধী নানা বক্তব্য দেয়ার পর সৌদি আরব কার্যত স্বীকার করে নেয় যে এক সময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মিস্টার খাসোগজি ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে জামাল খাসোগজি ওয়াশিংটন পোস্ট এ কলাম লিখতেন যেখানে তিনি সৌদি সরকারের সমালোচনা করতেন প্রায়ই। যদিও সৌদি আরব ওই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের কোনো ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই দাবী নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্তের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। সম্প্রতি কংগ্রেস সদস্য সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নানা দিক এমনকি পরমাণু প্রযুক্তি ও ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়েও তদন্তের কথা জানিয়েছে। চকবাজারের আগুন ঠেকানোর সুযোগ ছিলো? কে খুন করলো গরুর খামারি রাকবার খানকে? জেনে নিন বিশ্বের কোন খাবারগুলো পরিবেশ বান্ধব ক্রীড়াবিদদের গভীর ঘুমের গোপণ সূত্র কী? সৌদি যুবরাজ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন প্রিন্সেস রিমা প্রিন্সেস রিমা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেবেন প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে। যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের ছোটো ভাই খালিদ বিন সালমানকে ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর প্রিন্সেস রিমা অনুসরণ করছেন তা বাবা বান্দার বিন সুলতান আল সৌদের পদাঙ্ক। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সে কারণেই প্রিন্সেস রিমা কার্যত বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে এবং পড়ালেখা করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৫ সালে সৌদি আরবে ফিরে এসে তিনি সরকারী ও বেসরকারি উভয় খাতেই কাজ শুরু করেন। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্য তার পরিচিতি রয়েছে যদিও তার দেশের নারী অধিকারের রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছিলেন যে কিভাবে খেলাধুলায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়। স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করার জন্যও পরিচিতি রয়েছে প্রিন্সেস রিমার।", "doc2": "Gimbiya Rima ta gaji mahaifinta Bandar bin Sultan al-Saud, wanda ya rike mukamin jakadan Saudiyya a Amurka tun daga shekarar 1983 zuwa 2005. An bayyana ba ta mukamin ne a bainar jama'a ranar Asabar. Gimbiya Rima ta yi mafi yawan rayuwarta ta kuruciya a birnin Washington na Amurka. Ta samu wannan mukami ne a mawuyacin lokacin da Saudiyya ke kokarin kashe wutar ce-ce-ku-ce da sukar da take sha daga kasashen duniya kankisan dan jaridar nan Jamal Khashoggi. Masarautar Saudiyya dai ta amince cewa kashe Khashoggi aka yi a ofishin jakadancinta na Santanbul da ke Saudiyya, baya ga musawar da ta yi tun farko da kuma bayar da mabanbantan bayanai masu rikitarwa. Ta gaji mahaifinta Gimbiya Rima za ta maya gurbin kanin Yarima mai jiran gado ne a wannan sabon mukami, wato Yarima Khalid bin Salman, wanda aka ba shi mukamin mataimakin minsitan tsaro. An sanya wa Mr Trumpya ido sosai kan zargin da ake wa YAriman Saudiyya na hannu a kisan JAmal Khashoggi Ta gaji mahaifinta Bandar bin Sultan al-Saud, wanda ya rike mukamin jakadan Saudiyya a Amurka tun daga shekarar 1983 zuwa 2005. Saboda wannan mukami ne ma ta yi mafi yawan rayuwarta a Amurka. Ta yi digiri a fannin Ilimin Gidajen Tarihi daga Jami'ar George Washington. Tun bayan komawarta birnin Riyadh a 2005, Gimbiya Rima ta yi aiki a bangaren gwamnati da kamfanoni masu zaman kansu. Ta rike mukaman kasuwanci da dama da suka hada da shugabar kamfanin Harvey Nichols Riyadh. Gimbiyar ta yi suna wajen fafutukar kare hakkin mata, a kasar da ake yawan sukarta da rashin daidaiton jinsi. A baya-bayan nan ta yi aiki a Hukumar Wasanni ta masarautar, da fatan mayar da hankali wajen ganin an sa mata cikin harkar wasanni da motsa jiki. An kuma san ta da mayar da aiki tukuru wajen wayar da kai kan ciwon sankarar mama."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-45634902", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-45629146", "doc1": "কুঁড়ে ঘরের মতো কাঠের ভেলা । ইন্দোনেশিয়ায় এই ভেলা দিয়ে আলো আঁধারির মাধ্যমে সাগরে মাছ ধরার ফাঁদ পাতা হয়। তিনি বেঁচে ছিলেন সমুদ্রের নোনাপানি এবং লাফিয়ে ওঠা মাছ খেয়ে। আলদি নোভেল আদিলাং নামের এই তরুণের বয়স ১৮ বছর। মাছ ধরার জন্য কাঠ দিয়ে তৈরি ভেলায় থাকা অবস্থায় এই তরুণ ঝড়ে পড়ে ভেসে গিয়েছিলেন সাগরে। ইন্দোনেশিয়ায় গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার স্থানীয় একটি পদ্ধতি হল 'রমপং'। এই পদ্ধতিতে কাঠ দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করার পর তার উপর কুঁড়ে ঘরের মতো একটি ছোট কক্ষ বানানো হয়। সেই কক্ষে একজন বা দু'জন মানুষ থাকতে পারেন। এই ভেলায় আলো জ্বালানো হয়। সাগরে ঢেউয়ের তালে তালে ভেসে থাকা ভেলার সাথে আলো দুলতে থাকে। এই রমপং পদ্ধতি হচ্ছে মাছ ধরতে আলোর ফাঁদ। ১৮ বছরের তরুণ আলদিকে সাগরে ভাসতে থাকা ভেলা থেকে উদ্ধারের পর জাহাজে তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। পানিতে ঢেউয়ের তালে যখন ভেলার সাথে আলো দুলতে থাকে, তখন সেই ভেলার ওপর মাছ লাফিয়ে ওঠে। জাকার্তা পোস্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সুলাবেসি দ্বীপের বাসিন্দা আলদি নোভেল আদিলাং এর কাজ ছিল রমপং বা ভেলায় আলো জ্বালানো। ভেলাটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে সাগরের ১২৫ কিলোমিটার গভীরে বাঁধা ছিল। এ ধরণের ভেলায় কোন ইঞ্জিন বা বা বৈঠা ব্যবহার করা হয় না। অন্য নৌযান দিয়ে ভেলাটিকে গভীর সমুদ্রে নেয়া হয়। আলদিকে উদ্ধারের পর তাঁকে প্রথমে জাপানে নেয়ার অনুমতিপত্র দেয়া হয়েছিল। হঠাৎ ঝড়ে দড়ি ছিঁড়ে ভেলাটি সমুদ্রের কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ অঞ্চল গুয়ামের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকে পানামার একটি জাহাজ ঐ তরুণ আলদি নোভেল আদিলাংকে দেখতে পায় এবং তাঁকে উদ্ধার করে। সাগরে ভেসে গিয়ে অসহায় অবস্থায় এই তরুণ চিৎকার করে কাঁদত গত ১৪ ই জুলাই সমুদ্রে প্রচণ্ড ঝড় হয়। সেই ঝড়ে ভেলাটির দড়ি ছিঁড়ে ভেসে যায়। সাগরে ৪৯ দিন তাঁর কেটেছে শঙ্কায়। আলদি নোভেল আদিলাং যে ভেলায় থাকতেন, তাঁকে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে খাবার পৌঁছে দেয়া হতো। ফলে তাঁর সাথে থাকা খাবার এবং পানি ফুরিয়ে গিয়েছিল।সেই পরিস্থিতিতে সাগরের নোনা পানিই তাঁকে পান করতে হয়েছে। আর ভেলায় মাছ লাফিয়ে উঠলে, সেটি ধরে তিনি খেতেন। আরও পড়তে পারেন: যে কারাগারে শিশুরা ভোগে প্রাপ্তবয়স্কের সাজা মাঝদরিয়ায় জেলেদের কী কাজে লাগে কনডম? ১৭ দিন পর মৃত শাবককে বিদায় জানালো তিমি জাপানে ইন্দোনেশিয়ার একজন কূটনীতিক ফাজার ফেরদৌস জাকার্তা পোস্টকে বলেছেন, আলদি নোভেল আদিলাং মৃত্যুভয়ে ভীত থাকতেন এবং বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করতেন। \"আলদি দেখতে পেতেন যে, বড় জাহাজ সমুদ্রে যাচ্ছে। তিনি জাহাজ দেখলেই চিৎকার করে সাহায্য চাইতেন।১০ট্রিও বেশি জাহাজ তাঁর ভেলার পাশ দিয়ে গেছে। কিন্তু জাহাজগুলো থামেনি বা তাঁকে দেখত হয়তো পায়নি।\" সাগরে কয়েক হাজার কিলোমিটার ভাসার পর আলদিকে গুয়াম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আলদির মা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তাঁর ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে তাঁর কর্মস্থল থেকে পরিবারকে জানানো হয়েছিল।ফলে তারা তখন শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতেন। তাঁরা সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত কয়েক হাজার মাইল ভেসে আলদি পৌঁছায় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়ামের কাছে। সেখান থেকে ৩১শে অগাস্ট জাপানগামী পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আরপিগিও তাঁকে উদ্ধার করে তারা গুয়াম কোস্টগার্ডের সাথে যোগাযোগ করে। গুয়াম কোস্টগার্ডের তাঁকে জাপানে নিয়ে যেতে বললে জাহাজের কর্মকর্তা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। ঐ জাহাজে আলদি গত ৬ই সেপ্টেম্বর জাপানে পৌঁছান। দু'দিন পর ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস আলদিকে জাপান থেকে বিমানে করে নিজ দেশে পাঠায়। আলদি এখন ইন্দোনেশিয়ায় তাঁর পরিবারের সাথে আছেন।", "doc2": "Mista Adilang yana cikin wata bukka ce ta musamman da aka yi domin kamun kifi a cikin ruwa Aldi Novel Adilang yana cikin bukkar ne a wani wuri mai nisan kilomita 125 daga bakin gabar tekun Indonisiya a tsakiyar watan Yuli lokacin da wata iska mai karfi ta kada bukkar matashin mai shekara 18 zuwa can cikin teku ya yi ta watan-gaririya. Haka ya yi ta nitsawa cikin tekun har nisan dubban kilomita zuwa kusa da tsibirin Guam na tekun Pacific wanda ke karkashin Amurka, har sai da wani jirgin ruwa na kasar Panama ya ceto shi. Matashin mai shekara 18 wanda dan tsibirin Sulawesi ne na kasar Indonisiya, yana aiki ne a wata bukka ta musamman ta kamun kifi da ake sanyawa a cikin teku tana yawo, ba tare da wani inji ko abin tukin kwale-kwale ba. Aikinsa shi ne ya kunna fitilun bukkar, wadanda aka tsara su yadda za su jawo hankalin kifaye, wato kamar tarko, kamar yadda jaridar Jakarta Post ta ruwaito. Tarkon wanda aka tsara shi kamar bukka yana yawo ne a kan teku amma kuma ta can kasa an daddaure shi da igiya a ciyayin karkashin teku. Kowa ne mako akwai wani daga kamfanin da matashin yake aiki da yake zuwa can cikin tekun ya kai masa abinci da ruwan sha da kananzir, sannan kuma ya tafi da kifayen da ya kama. 'Ya rika kuka' A ranar 14 ga watan Yuli wata iska mai karfin gaske ta yi gaba da bukkar ta Mista Adilang, ya yi ta yawo a kan teku. Kasancewar kayan abincinsa ba su da waya, sai ya rika kama kifi yana gasawa da katakon da aka yi dangar bukkar. Ba a san yadda aka yi kishirwa ba ta yi masa illa ba. ''Ya ce hankalinsa ya tashi ya ji tsoro har ya rika kuka a lokacin da bukkar take yawo da shi a teku,'' In ji Fajar Fidaus wani jami'in diflomasiyya na Indonisiya a birnin Osak na Japan, kamar yadda ya gaya wa jaridar Jakarta Post. Yanzu Mista Adilang ya samu lafiya sosai kuma yana gidansu Mahaifiyarsa ta gaya wa kamfanin dillancin labarai na AFP yadda ta samu labarin bacewar dan nata. ''Mai gidansa ya gaya wa mijina cewa ya bata,'' in ji Net kahiking. ''Shi ke nan muka bar wa Allah al'amarin muka rika addu'a.'' A ranar 31 ga watan Agusta, Mista Adilang ya aika da sakon oba-oba na neman agajin gaggawa lokacin da ya ga jirgin ruwan MV Arpeggio a kusa. Daga nan ne mutanen jirgin ruwan na Panama suka ceto shi daga yankin tekun na tsibirin Guam. An ba shi izinin shiga Japan saboda mawuyacin halin da ya shiga Matukin jirgin ruwan ya tuntubi jami'an tsaron gabar tekun Guam wadanda su kuma suka ba shi dama ya kai shi Japan, inda jirgin zai je, kamar yadda wata sanarwa daga karamin ofishin jakadancin Indonisiya a Osaka ta bayyana. A ranar shida ga watan Satumba Mista Adilang ya isa Japan daga nan kuma bayan kwana biyu aka mayar da shi Indonisiya inda aka hada shi da iyayensa. An ce yana cikin koshin lafiya yanzu. ''Yanzu ya komo gida kuma a ranar 30 ga watan Satumba zai cika shekara 19 - za mu shirya masa liyafa a ranar,'' in ji mahaifiyarsa. An gano Mista Adilang ne a yankin gabar tekun tsibirin Guam"} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-48744144", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-48745111", "doc1": ". বিবিসি নিউজ আরবী এবং আরব ব্যারোমিটার রিসার্চ নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এই জরিপ চালায়। এটিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় এ ধরণের সবচেয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানী জরিপ বলে দাবি করা হচ্ছে। ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা থেকে শুরু করে নারী অধিকার এবং অভিবাসন—এধরণের বহু বিষয়ে এই জরিপে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। গত বছরের শেষ এবং এ বছরের শুরুতে দশটি দেশ এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মানুষ এই জরিপে অংশ নেয়। এই জরিপে যা জানা গেছে: . নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবেন না এমন মানুষের সংখ্যা ২০১৩ সালে যেখানে ছিল ৮%, সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩%। তিরিশ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেই এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে ১৮ শতাংশই নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবে না। কেবলমাত্র ইয়েমেনের এরকম মনোভাবের মানুষের সংখ্যা কমেছে। . একজন নারীরও যে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অধিকার আছে, পুরো অঞ্চলজুড়েই বেশিরভাগ মানুষ তা সমর্থন করে। আলজেরিয়ার একমাত্র ব্যতিক্রম। সেখানে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষ বলেছে, একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলে সেটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তবে যখন পারিবারিক জীবনের প্রসঙ্গ আসে- তখন বেশিরভাগ মানুষ, এমনকি বেশিরভাগ নারীও মনে করে পারিবারিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার চূড়ান্ত অধিকার স্বামীর। কেবল মরোক্কো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সেখানে স্বামীরই যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ- এই মত সমর্থন করেছেন অর্ধেকের কম মানুষ। . সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা পুরো অঞ্চল জুড়েই কম বা একেবারেই কম। যদিও দেশভেদে কিছুটা পার্থক্য আছে। লেবাননকে বিবেচনা করা হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বে সবচেয়ে উদারপন্থী দেশ হিসেবে। সেখানেও সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা ৬ শতাংশ। 'অনার কিলিং' বা পারিবারিক সন্মান রক্ষার হত্যা বলে যাকে বর্ণনা করা হয়, তাতে সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরিবারের কাউকে হত্যা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই এধরণের হত্যার শিকার হন। জরিপে অংশ নেয়া প্রতিটি অঞ্চলেই অন্যান্য নেতাদের চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ছিল সবার নীচে। এর বিপরীতে আবার ১১টি দেশ এবং অঞ্চলের সাতটিতেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নীতি প্রশংসিত হয়েছে। তবে লেবানন, লিবিয়া এবং মিশরে এরদোয়ানের চেয়েও বেশি সমর্থন পেয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নীতি। . মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় নিরাপত্তা নিয়ে এখনো উদ্বেগ আছে। যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইসরায়েলের পর কোন দেশগুলি তাদের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, তখন দ্বিতীয় বৃহত্তম হুমকি হিসেবে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তৃতীয় স্থানে ছিল ইরান। . যত দেশে এই জরিপ চালানো হয়, প্রত্যেক জায়গাতেই প্রতি পাঁচজনে একজন বলেছেন, তারা দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবছেন। সুদানে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই অভিবাসী হতে চেয়েছেন। উত্তর আমেরিকায় যেতে চান এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় ইউরোপে যেতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কমেছে। তারপরও যারা অভিবাসী হতে চান, তাদের বেশিরভাগের পছন্দ এখনো ইউরোপ।", "doc2": "Sakamakon binciken ya yi nuni kan tunanin Larabawa dangane da abubuwa da dama da suka hada da 'yancin mata da kaura da tsaro da kuma neman jinsi guda. An ji ta bakin fiye da mutum 25,000 a yayin binciken - wanda Sashen Larabci na BBC News da cibiyar bincike ta Arab Barometer suka yi a kasashe 10 na Larabawa da Yankunan Falasdinawa daga 2018 zuwa 2019. Ga dai wasu daga cikin sakamakon binciken: Tun shekarar 2013 yawan mutanen da ake ganin ba su da addini ya karu daga kashi 8% zuwa kashi 13% a cewar binciken. A Yemen ne kawai ba a samu karuwar hakan ba. Mutane da dama a yankin suna goyon bayan a bai wa mata damar su zama firaminista ko shugabar kasa. A Aljeriya ne kawai ba a samu hakan ba inda kasa da kashi 50% na wadanda aka tambaya suka yi amannar cewa za su yarda da mace shugabar kasa. Amma idan aka zo batun harkokin gida, mutane da dama da suka hada da mata - sun yi amannar cewa miji ne ke da ta cewa a dukkan harkokin da suka shafi iyali. A Moroko ne kawai mutane kadan suka yarda cewa miji ne yake da dukkan ikon yanke kowane irin hukunci a cikin iyalin. Luwadi bai samu karbuwa ba a yankin kasashen Larabawa. A Lebanon, duk da cewa akwai sassaucin ra'ayi a can fiye da makwabtanta, adadin masu wannan akida kashi 6% ne. Kisan wadanda suka ja wa danginsu abin kunya shi ne yadda ake samun iyali su kashe daya daga cikin danginsu musamman mace, saboda jawo musu abin kunya. A binciken da aka gudanar a ko ina - sakamakon ya nuna cewa ba a maraba da manufofin Donald Trump idan aka kwatanta shi da Shugabanni biyu na Turkiyya da na Rasha. A bakwai daga cikin wurare 11 da aka yi binciken, rabi ko fiye da haka sun fi yarda da manufofin shugaban Turkiyya Recep Tayyip Erdogan Lebanon da Libiya da Masar sun fi amince wa da manufofin Vladimir Putin na Rasha fiye da na Erdogan. Jumullar adadin kowace kasa ba 100 bisa 100 ba ne ko yaushe saboda akwai wadanda ba su da zabi da ba a sa a ciki ba. Tsaro ya kasance daya daga cikin abubuwan da aka damu da su a Gabas Ta Tsakiya da Arewacin Afirka. Da aka yi musu tambaya a kan cewa wace kasa ce ta fi zama barazana ga zaman lafiya da tsaronsu, Isra'ila ce ta zo ta farko, sannan sai Amurka, sai kuma Iran da ta zo ta uku. A duk inda aka yi tambaya, bincike na nuna cewa akalla daya daga cikin mutum biyar na son yin kaura. A Sudan, rabin 'yan kasar ke da wannan burin. Dalilai kamar na tattalin arziki na daga cikin abin da ke janyo hakan. Wadanda aka tambaya na iya zabar fiye da zabi daya. Idan kun kasa kallon taswirar da ke sama, ku latsa nan. Yawan wadanda suke son barin Arewacin Afirka ya karu, duk da cewa an rage son zuwa Turai, har yanzu dai ita ce a kan gaba na zabin mutanen da ke son barin yankin. Daga Becky Dale da Irene de la Torre Arenas da Clara Guibour da kuma Tom de Castella. Sashen Larabci na BBC za su yi ta tattauna wannan batun cikin makon nan. Kuna iya bin #BBCARABICSURVEY a Twitter da Facebook da Instagram don karin bayanin. The BBC Arabic Survey Hanyar da aka bi wajen bincike An gudanar da binciken ne tare da hadin gwiwar wata cibiyar bincike ta Arab Barometer. A yayin aikin an ji ta bakin mutum 25,407 ta hanyar hira da su gaba da gaba a kasashe 10 da Yankunan Falasdinu. Cibiyar Arab Barometer wata cibiyar bincike ce da take Jami'ar Princeton. Tun shekarar 2006 suke gudanar da bincike. Masu bincike ne suka gudanar da hirar, wacce take daukar tsawon minti 45 a wasu wurare na sirri. Abu ne da ya shafi ra'ayin Larabawa, don haka bai shafi Iran da Isra'ila ba duk da cewa ya shafi mazauna Yankunan Falasdinu. An saka yawancin kasashen yankin a ciki amma mafi yawan gwamnatocin kasashen yankin Gulf sun ki bayar da hadin kai wajen aiwatar da binciken. Sakamaon kasar Kuwait bai iso da wuri ba don haka BBC Arabic ba ta sa shi ciki ba. Ita kuma Syria ba a samu shigarta ba saboda wahalar da ke tattare da shiga kasar. Wasu kasashen sun ce a cire wasu tambayoyin saboda batu na shari'a da al'ada. Ana sanar da hakan a cikin sakamakon. Za ku iya samun karin bayani a kan hanyoyin da aka bi wajen yin binciken a adireshin intanet na Arab Barometer."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-55247490", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/rahotanni-55247692", "doc1": "সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে প্রবল ক্ষমতাশালী একজন নেতা সৌদি আরবের ভেতর প্রিন্সের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে ঠিকই, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যায় তার জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে যে সন্দেহের বাতাবরণ রয়ে গেছে তা তিনি এখনও ঝেড়ে ফেলতে পারেননি। এরই মধ্যে আমেরিকায় নতুন প্রশাসন হোয়াইট হাউসে যখন দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কোন কোন সৌদি ইস্যুতে তিনি তার পূর্বসুরীর চেয়ে কঠোর অবস্থান নেবেন। সেই ইস্যুগুলো কী, এবং আমেরিকা ও সৌদি আরবে ক্ষমতাসীদের জন্য কেন এই ইস্যুগুলো গুরুত্বপূর্ণ? ইয়েমেন যুদ্ধ এই যুদ্ধ, লড়াইয়ে জড়িত প্রায় সব পক্ষের জন্যই একটা বিপর্যয়, বিশেষ করে ইয়েমেনের দরিদ্র এবং পুষ্টিহীন জনগোষ্ঠীর জন্য। সৌদি আরব এই যুদ্ধ শুরু করেনি- করেছিল হুথিরা, যখন তারা ২০১৪র শেষ দিকে রাজধানী সানায় অভিযান চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করে। হুথিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার একটি উপজাতি গোষ্ঠী এবং সংখ্যার হিসাবে তারা দেশটির জনসংখ্যার ১৫% এরও কম। মার্চ ২০১৫য়ে, এমবিএস যখন সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, তিনি কয়েকটি আরব রাষ্ট্রকে নিয়ে গোপনে একটি জোট গঠন করে ইয়েমেনে বিশাল বিমান আক্রমণ চালান। তারা আশা করেছিলেন এই প্রবল বিমান হামলার মুখে হুথিরা কয়েকমাসের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবে। কিন্তু প্রায় ছয় বছর ধরে লড়াইয়ে কয়েক হাজার নিহত ও বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হবার পরেও সৌদি নেতৃত্বাধীন এই জোট সানা এবং ইয়েমেনের জনঅধ্যুষিত পশ্চিমাঞ্চল থেকে হুথিদের হঠাতে পারেনি। এই ছয় বছরে দুই পক্ষই যুদ্ধাপরাধও সংঘটিত করেছে। ইরানের সহযোগিতায় হুথিরা ক্রমশই আরও নির্ভুল নিশানার ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরক ড্রোন ছুঁড়েছে সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে। তাদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এমনকি জেদ্দা পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং তেল স্থাপনাগুলোকে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। ইয়েমেনের লড়াই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে ইয়েমেনের দরিদ্র এবং পুষ্টিহীন জনগোষ্ঠীর জন্য। ইয়েমেনের পশ্চিম উপকন্ঠে তায়েজে দরিদ্র এক বাস্তুচ্যুত ইয়েমেনী পরিবার আশ্রয় নিয়ে বাস করছে এক গুহায় অর্থের হিসাবে এই অচলাবস্থা সৌদিদের জন্য বেশ ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বহু শান্তি পরিকল্পনাই একের পর এক ভেস্তে গেছে। ইয়েমেনের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে বহু ইয়েমেনী, কিন্তু সৌদিদের এই রক্তক্ষয়ের জন্য চড়া আর্থিক মূল্য দিতে হয়েছে, পাশাপাশি দেশের বাইরে তাদের বিরাট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সৌদিরা চায় এই অচলাবস্থা থেকে এমন একটা পরিত্রাণ যাতে অন্তত তাদের মুখরক্ষা হবে। কিন্তু সৌদিরা \"তাদের দক্ষিণ সীমান্তে ইরানের একটা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলা বন্ধের\" কথা ইতোমধ্যেই বলেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র মিলিশিয়ারা ইয়েমেনে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করবে এটা তারা কখনই মেনে নেবে না। তবে সৌদিদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবার দিন ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। বারাক ওবামা, ২০১৬ সালে তার ক্ষমতার শেষ দিকে সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন সহায়তা অনেকটাই খর্ব করেছিলেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পর সেটা উল্টে দেন এবং রিয়াদ যতধরনের গোয়েন্দা তথ্য এবং সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে আমেরিকা তার পুরোটাই দেয়। এখন মি. বাইডেনের প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। যে কোন ভাবে এখন এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ বাড়ছে। আরও পড়তে পারেন: বন্দী নারীরা সৌদি নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করার প্রচারণায় এটা একটা বড় বিপর্যয়। ১৩ জন নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয় ২০১৮র ২৪শে জুন সৌদিতে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার ঠিক আগে আগে। সৌদি আরবের তেরজন শান্তিপূর্ণ নারী আন্দোলনকারীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এবং এদের কাউকে কাউকে ভয়ানকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এদের অপরাধ কার্যত নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দাবি করা এবং পুরুষ অভিভাবকের অধীনে থাকার 'চরম অন্যায্য পদ্ধতি'র অবসান চাওয়া। এদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত বন্দী লুজাইন আল-হাথলুল সহ অনেককেই গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালে, নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার ঠিক আগে আগে। সৌদি কর্মকর্তারা এখনও অভিযোগ করছেন যে মিজ হাথলুল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তিনি \"বিদেশি শক্তির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন\", কিন্তু এর স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ সৌদি কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি। তার বন্ধুরা বলছেন তিনি শুধু বিদেশে মানবাধিকার বিষয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এবং জাতিসংঘে একটি চাকরির আবেদন করেছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাকে আটক অবস্থায় থাকাকালীন প্রহার করা হয়েছে, ইলেকট্রিক শক এবং ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে, এবং শেষ বার যখন তার পরিবার তার সাথে কারাগারে দেখা করতে যায়, তখন তিনি প্রচণ্ড কাঁপছিলেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। ইয়েমেন যুদ্ধের মতই এই বিষয়টাতেও সৌদি নেতৃত্ব নিজের জন্য নিজে হাতেই কবর খুঁড়ে রেখেছে এবং এখন মুখ রক্ষা হয় এমন এটা নিষ্কৃতির উপায় খুঁজছে। লুজাইন আল-হাথলয়ুল ও অন্য নারী বন্দীদের মুক্তির দাবি উঠেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। দ্য হেগের সৌদি দূতাবাসেও এই মর্মে আবেদন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীরা এই নারীদের দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে কোনরকম সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া। নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা আছে এমন কোন দেশের আদালতে এদের বিরুদ্ধে মামলাই টিকবে না। ফলে সৌদিদের জন্য এই ঘোলাটে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র রাস্তা হল এদের \"খবুই মহানুভব হয়ে ক্ষমা প্রদর্শন\"। ধারণা করা হচ্ছে নতুন বাইডেন প্রশাসন এই বিষয়টি সৌদিদের সাথে উত্থাপন করতে যাচ্ছেন। আরও পড়তে পারেন: কাতার বয়কট দৃশ্যত, এই ইস্যুটি পর্দার আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে চালানো কুয়েতী মধ্যস্থতায় সমাধান হয়ে গেছে বলেই মনে হবে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে এই সমস্যার শেকড় অনেক গভীরে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৭ সালে রিয়াদ সফর করার কয়েকদিনের মধ্যেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহারাইন এবং মিশরের সাথে মিলে তাদের উপসাগরীয় প্রতিবেশি দেশ কাতারকে খোঁড়া করে দেবার মত বিধ্বংসী বয়কট বা বর্জনের পদক্ষেপ নেয়। তাদের যুক্তি ছিল কাতার ইসলামপন্থী যে দলগুলোকে সমর্থন করছে তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদের পর্যায়ে পড়ে, এবং এটা অগ্রহণযোগ্য। ইউএই যেসব অভিযুক্ত সন্ত্রাসী কাতারে বাস করছে তাদের সম্পর্কিত একটি নথি প্রকাশ করে, কিন্তু কাতার কোনরকম সন্ত্রাসে মদত দেবার অভিযোগ প্রত্যাখান করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই চারটি দেশের জোটের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। ইয়েমেনে হুথিদের মতই সৌদিদের একটা ভুল প্রত্যাশা ছিল যে কাতারীরা চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে এবং তাদের শেষ পর্যন্ত বশ্যতা মেনে নেবে। তারা তা নেয়নি। এর কারণ অংশত কাতারের রয়েছে বিপুল সম্পদ। কাতারে উপকূলবর্তী তেল উৎপাদনের ক্ষেত্র রীতিমত বিশাল, এবং শুধুমাত্র ব্রিটেনের অর্থনীতিতেই কাতারের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৩ বিলিয়ন ডলার) - এছাড়াও তাদের পেছনে রয়েছে তুরস্ক ও ইরানের সমর্থন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৭ সলে রিয়াদ সফরের পর কাতারকে বয়কট শুরু হয়। রিয়াদে এক অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল-সউদ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এর ফলে যেটা দাঁড়িয়েছে সেটা হল, মধ্য প্রাচ্যে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে একটা বিরাট বিভাজন রেখা তৈরি হয়ে গেছে। এর একদিকে আছে তিনটি রক্ষণশীল, সুন্নি উপসাগরীয় আরব রাজতন্ত্র- সৌদি আরব, ইউএই এবং বাহরাইন, সাথে তাদের মিত্র দেশ মিশর। অন্যদিকে আছে কাতার, তুরস্ক এবং রাজনৈতিকভাবে ইসলামী যেসব আন্দোলনকে তারা সমর্থন করে, যেমন মুসলিম ব্রাদারহুড এবং গাযায় হামাস গোষ্ঠী। আর এই ধরনের অর্ন্তবর্তীকালীন আন্দোলন গোষ্ঠীগুলো এই চার দেশের জোটের অপছন্দের কারণ এদের তারা নিজেদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হিসাবে দেখে। তবে সাড়ে তিন বছর ধরে কাতারকে বয়কটের এই নীতির কারণে দু পক্ষই যে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এছাড়াও এর মধ্যে দিয়ে যেটা সামনে এসেছে সেটা হল উপসাগরীয় এলাকায় আরব সংহতির আদর্শ আসলেই একটা অর্থহীন বিষয়। আর এটা ঘটেছে এমন সময় যখন উপসাগরীয় আরব নেতাদের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। এই বিবাদ মীমাংসার ব্যাপারে চাপ দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত হিসাবে জারেড কুশনার উপসাগরীয় এলাকা সফরে গেছেন। এবং মি. বাইডেনের প্রশাসনও নিঃসন্দেহে চাইবে এই সমস্যার সমাধান। এর আরও একটা কারণ হল কাতারের আল-উদাইদে রয়েছে বিদেশে পেন্টাগনের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। আরও পড়তে পারেন: কিন্তু মধ্যস্থতার মাধ্যমে যে সামাধান মীমাংসাই হোক, সেটার বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় কথা। প্রতিবেশি দেশগুলোকে ক্ষমা করতে কাতারের হয়ত অনেক বছর সময় লেগে যাবে। এবং অন্যদিক থেকে কাতারের ওপর বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের জন্যও এই চারটি দেশ হয়ত অনেক বছর সময় নেবে।", "doc2": "A ƙasar ta Saudiyya, Yariman ya yi fice, amma a ƙasashen ƙetare, ya kasa goge tabon zargin da ake yi masa na hannu a kisan ɗan jaridar nan Jamal Khasoggi a 2018. Amma a halin yanzu, sabuwar gwamnatin Amurka na shirin shiga Fadar White House inda zaɓaɓɓen shugaban, Joe Biden ya bayyana a fili kan cewa zai ɗauki tsauraran matakai fiye da na wanda zai gada kan batun Saudiyya. Waɗanne abubuwa ne a ƙasa a yanzu kuma me ya sa suke da muhimmanci ga Amurka da Saudiyya? Yaƙin Yemen Wannan yaƙin ya kasance bala'i ga duk wanda ya shafa, musamman talakawan Yemen da ke cikin hali na yunwa. Ba Saudiyya ba ce ta fara wannan yaƙin - 'yan tawayen Houthi ne suka fara a lokacin da suka yi tattaki har cikin Sana'a babban birnin ƙasar a 2014 inda suka hamɓarar da gwamnatin ƙasar mai cikakken iko. Houthi dai wata ƙabila ce daga tsaunin da ke arewacin ƙasar inda suke da kashi 15 cikin 100 na adadin jama'ar ƙasar. A 2015, Yarima Mohammed bin Salman wanda a lokacin shi ne ministan tsaro na ƙasar, cikin sirri ya haɗa gamayyar wasu ƙasashen Larabawa inda ya ƙaddamar da yaƙi mai ƙarfi ta sama kan Yemen ɗin, inda a lokacin ya yi zaton cikin watanni kaɗan 'yan tawayen na Houthi za su yi saranda. Sama da shekara shida, an kashe dubban mutane tare da raba da dama da muhallansu, inda kuma duka ɓangarorin suka aikata laifukan yaƙi, amma duk da haka Saudiyya ta kasa fatattakar 'yan tawayen na Houthi daga Sana'a da kuma akasarin yammacin ƙasar ta Yemen. Da taimakon Iran, 'yan tawayen na Houthi na ci gaba da tura makaman roka da kuma ababen fashewa kan Saudiyya inda suke lalata wasu kayayyakin man fetur na ƙasar. A yaƙin dai na Yemen, yarjejeniyar zaman lafiya da dama da aka cimmawa ta rushe ɗaya bayan ɗaya. Yaƙin na Yemen na kashe 'yan ƙasar tare da lashe aljihun Saudiyya, inda kuma mutane da dama a ƙasashen ƙetare ke caccakar wannan lamari. Sai dai lokaci na neman ƙure wa Saudiyya a ƙoƙarinta kan wannan yaƙi. A 2016, a lokacin ƙarshen wa'adinsa, Shugaba Barack Obama, tuni ya fara rage taimakon da Amurka ke bayarwa kan yaƙin. Sai dai Donald Trump ya sauya tsarin inda ya bai wa Saudiyya duka goyon baya da bayanan sirri da kayan aikin da take buƙata. A yanzu dai Mista Biden ya nuna cewa ba lallai ya ci gaba da bayar da wannan taimakon ba. A yanzu dai an kunno wuta domin kawo ƙarshen wannan yaƙin ko ta wace hanya. Matan Saudiyya da aka kulle Wannan lamari ya jawo wa Saudiyya ce-ce-ku-ce ga daga ƙasashen duniya kan yadda ake gudanar da abubuwa a ƙasar. An rufe wasu matan Saudiyya 13 masu zanga-zangar lumana, inda aka bayar da rahoton jin zarafinsu ta wani fannin, inda ake zargin su da laifin neman 'yancin tuƙa mota da kuma neman a bai wa mata walwala ba tare da muharammi ba. Mata da dama, ciki har da Loujain al-Hathloul aka kama a 2018, kafin a cire haramta tuƙin motar mata a ƙasar. Jami'ai a Saudiyya sun zargi Ms Hathloul da laifin leƙen asiri da kuma \"karɓar kuɗi daga ƙasashen waje\" sai dai jami'an na Saudiyya sun kasa kawo wata hujja. Abokanta sun bayyana cewa ba ta yi komai ba in ban da halartar wani taron 'yancin ɗan adam a ƙasar waje tare da neman aiki a Majalisar Ɗinkin Duniya. Danginta sun bayar da labarin cewa an doke ta, an azabtar da ita ta hanyar amfani da lantarki tare da yunƙurin yi mata fyaɗe a lokacin da take a rufe, kuma ganin da suka yi mata na ƙarshe, tana kyarma ba ƙauƙautawa. Kamar dai yadda Saudiyyar ta saka kanta a cikin yaƙin Yemen, wannan wani rami ne ƙasar ta gina wa kanta kuma ta faɗa inda a yanzu take neman mafita. Bayan riƙe matan na lokaci mai tsawo, ba tare da wata hujja da za a nuna a kotu ba a ƙasar mai ɓangaren shari'a mai zaman kansa, hanyar fita daga wannan lamari ita ce neman sulhu. Ana tunanin gwamnatin Biden za ta taso da wannan batu a nan gaba. Ƙauracewa Qatar A 2017, a lokacin da Shugaba Trump ya kai ziyara Riyadh, Saudiyya ta haɗa kai da Haɗaɗɗiyar Daular Larabawa da Bahrain da Masar domin ƙauracewa makwabciyarsu da ke yankin Gulf wato Qatar. Wannan tafiya ta haɗa ƙasashe uku na yankin Gulf masu ra'ayin mazan jiya mabiya Sunni wato Saudiyya da UAE da Bahrain da kuma kawarsu Masar. Dalilin da ƙasashen suka bayar shi ne zargin da suke yi wa Qatar ɗin na goyon bayan ƙungiyar IS da ke jawo ayyukan ta'addanci. Daular Larabawan ta samar da wasu shaidu da takardu da ke nuna cewa wasu 'yan ta'adda na zama a ƙasar, sai dai ƙasar ta musanta goyon bayan ta'addanci. Kamar yadda 'yan tawayen Houthi suka yi a Yemen, an yi ta tunanin cewa 'yan Qatar ɗin su ma za su ɓalle daga baya su bayar da kai bori ya hau. Sai dai hakan bai yiwu ba, ganin cewa ƙasar na da arziƙin iskar gas tare da zuba jari na kusan fam biliyan 40 a tattalin arziƙin Birtaniya kaɗai - tare da goyon bayan Turkiyya da Iran."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-51568895", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-51571194", "doc1": "যে দুটি স্থানে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছিল এই অ্যারেনা বার অ্যান্ড ক্যাফে। দুটি ঘটনাই ঘটেছে দুটি শিশা বারে। স্থানীয় সময় রাত দশটা এবং বাংলাদেশ সময় রাত তিনটার দিকে বন্দুকধারীদের এই নির্বিচার হামলা শুরু হয়। এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে এখন। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শহরের কেন্দ্রস্থলের একটি বারে। আর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে শহরতলীতে। দুটি এলাকাতেই পুলিশের হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে এখন। ২০১৮'তে হয়েছে সবচেয়ে বেশি স্কুল হামলা ইহুদিবিদ্বেষী খোলা চিঠির পর সিনাগগে বন্দুক হামলা জাসিন্ডা আরডের্ন: ভালবাসা দিয়ে 'হৃদয় জয়' করলেন যিনি 'আমরা ভাবিনি এই লোকটা আমাদের মারতে এসেছে' দুটি হামলার জন্যই একই হামলাকারীদের সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রথম বারটিতে গুলি চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করার পর হামলাকারীরা অ্যারেনা বার অ্যান্ড ক্যাফেতে গিয়ে আরো ৫ জনকে হত্যা করে বলে একটি আঞ্চলিক সম্প্রচার সংস্থা জানাচ্ছে। এসব হামলার পর একটি কালো রঙের গাড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয় বলছে পুলিশ। হেসেন অঙ্গরাজ্যের একটি শহর এই হ্যানাউ। শহরটি ফ্র্যাঙ্কফুর্টের পূর্ব দিকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চারদিন আগে বার্লিনে একটি তুর্কি কমেডি শোয়ের ভেন্যুর কাছে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বন্দুকধারীদের ওই হামলাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।", "doc2": "An gano gawar mutumin da ake zargi da kai harin a gidansa tare da gawar mahaifiyarsa A dukkan wuraren biyu da aka kai wa hari ranar Laraba, rahotanni sun ce akasarin masu zuwa mashayar Kurdawa ne. An gano gawar mutumin da ake zargi da kai harin a gidansa tare da gawar mahaifiyarsa. Masu shigar da kara na gwamnatin tarayya sun ce harin na ta'addanci ne, yayin da jami'ai suka ce akwai shaidun da ke nuna cewa maharin mai tsattsauran ra'ayi ne. 'Yan sanda sun ce mutumin da ake zargi da kai harin ya harbe kansa. Jaridar The Bild ta ruwaito cewa mutumin dan kasar Jamus ne wanda aka bai wa lasisin amfani da makamai, tana mai cewa an gano harsasai da jigidar bndiga a cikin motarsa."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-46781149", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-46774721", "doc1": "রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান: \"আমার পরিবার আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।\" ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা চাইছেন তাকে কুয়েতে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু এই তরুণী দাবি করছেন সেখানে পাঠালে পরিবার তাকে হত্যা করবে। সোমবার কুয়েতগামী এক ফ্লাইটে উঠতে অস্বীকৃতি জানান ১৮ বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান। তিনি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেন, \"কুয়েতে আমার ভাইয়েরা, আমার পরিবার এবং সৌদি দূতাবাস আমার অপেক্ষায় বসে আছে। তারা আমাকে মেরে ফেলবে। আমার জীবন এখন বিপন্ন। আমার পরিবার একেবারে সামান্য ঘটনার জন্য পর্যন্ত আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।\" হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন টুইটারে লিখেছেন, \"রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান হোটেল কক্ষের দরোজা আটকে বসে আছেন এবং কুয়েতে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশ্রয় চাওয়ার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।\" মিস্টার রবার্টসন আরও জানান, থাইল্যান্ডের আইনজীবীরা ব্যাংককের ক্রিমিনাল কোর্টে একটি আবেদন করেছেন রাহাফের পক্ষে যেন তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ফেরত পাঠানো না হয়। ব্যাংকক বিমানবন্দর থেকে বিবিসির জোনাথান হেড জানান, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান ভীতসন্ত্রস্ত্র এবং বিভ্রান্ত। থাই কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। যেভাবে ঘটনার শুরু রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান তাঁর পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। দুদিন আগে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু রোববার ব্যাংককে নামার পরই নাকি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একজন সৌদি কূটনীতিক এসে তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করেন। রাহাফ দাবি করছেন, তার পাসপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি কখনোই থাইল্যান্ডে থাকতে চাননি। আরও পড়ুন: সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না 'ভোগ' ম্যাগাজিনে সৌদি রাজকুমারী: কেন এত বিতর্ক সৌদি নারীদের গোপন ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন অন্যদিকে ব্যাংককের সৌদি দূতাবাস দাবি করছে, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের কোন রিটার্ন টিকেট নেই, সেজন্যেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আর যেহেতু তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য কুয়েতে থাকে, তাই তাকে সেখানেই পাঠানো হচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, থাই সরকার আসলে এখন একটা কাহিনী ফাঁদার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, রাহাফ একটি ভিসার আবেদন করার চেষ্টা করেছিল, সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি বলেন, থাই কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, সে কারণেই বিমানটি ব্যাংককে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সৌদি কর্মকর্তারা রাহাফের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। যেভাবে ঘটনা জানাজানি হলো রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার ব্যাপারে পোস্ট দিয়ে সবার নজর কাড়েন। তিনি তার এক বন্ধুকে নিজের টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করতে দেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান বলেন, \"আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার এই ঘটনা এবং ছবি শেয়ার করি। এ কারণে আমার বাবা আমার ওপর খুবই ক্ষিপ্ত। আমি আমার নিজের দেশে পড়াশোনা এবং কাজ করতে পারি না। আমি স্বাধীনতা চাই, আমি আমার মতো করে পড়াশোনা করতে চাই, কাজ করতে চাই।\" সৌদি আরবে নারীকে 'পুরুষ অভিভাবকত্ব আইনের' অধীনে চলতে হয়। এর মানে হচ্ছে তাদের যে কোন কিছু করতে একজন পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতি নিতে হয়। চাকুরি, ভ্রমণ, বিয়ে থেকে শুরু করে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পর্যন্ত এই অনুমতি লাগে। রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনান-টুইটারে লিখেছেন যে তিনি তার প্রকৃত নাম এবং বিস্তারিত তথ্য এখন প্রকাশ করছেন, কারণ তার আর হারানোর কিছু নেই। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন। কেন তার নিরাপত্তা নিয়ে শংকা মিস মোহাম্মদ আল-কুনান বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। তিনি আশংকা করছেন, তার পরিবার তাকে হত্যা করতে পারে। থাই পুলিশের মেজর জেনারেল সুরাচাতে হাকপার্ন বিবিসিকে বলেন, মিস মোহাম্মদ আল-কুনান আসলে তাকে বিয়ে দেয়ার যে চেষ্টা চলছিল, সেখান থেকে পালিয়েছেন। তিনি এটিকে একটি 'পারিবারিক ব্যাপার' বলে বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের এপ্রিলে আরেক সৌদি নারীকে নিয়ে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। দিনা আলি লাসলুম নামের সেই নারী কুয়েত হতে ম্যানিলা হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে ম্যানিলা বিমানবন্দর হতেই তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার পর তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।", "doc2": "Rahaf Mohammed al-Qunun ta ce wani jami'in Saudiyya ya kwace mata fasfonta Rahaf Mohammed al Qunun ta ce da farko tana kan hanyarta ta zuwa kasar Kuwait ne, sai ta shiga wani jirgin domin tsere wa 'yan uwan nata kwanaki biyu da suka gabata. Tana kokarin ta isa kasar Ostreliya ne ta hanyar shiga wani jirgin da zai kai ta can daga Bangkok. Ta fada wa BBC cewa ta fita daga Musulunci, kuma tana tsoron za a tilasta mata komawa Saudiyya, inda 'yan uwanta za su iya kashe ta. Wakilin BBC a Bangkok Jonathan Head ya ce Rahaf al-Qunun a firgice take matuka. Ta ce tana da bizar Ostreliya amma wani jami'in diflomasiyya na Saudiyya ya kwace fasfonta a lokacin da ta sauka daga jirgin sama a filin jirgi na Suvarnabhumi. Shugaban 'yan sandan Thailand Manjo Janar Surachate Hakparn ya sanar da BBC cewa matar ta tsere wa auren dole ne. Ya ce saboda ba ta da izinin shiga kasar Thailand, shi yasa suke kokarin mayar da ita inda ta fito ta jirgin da ya kai ta can wato Kuwait Airlines. Janar Surachate ya ce bai san komai game da batun kwace mata fasfo ba. Amma 'yan Saudiyya na iya neman biza bayan sun sauka a kasar, wato ba sai da biza za su iya zuwa Thailand ba. Matar ta bayyana halin da take ciki a shafinta na Tiwita, tana cewa: \"Saboda bani da yadda zan yi, bari in bayyana ainihin sunana da dukkan bayanai na.\" Ta kuma nuna hoton fasfonta \"domin ina son a san cewa ba da gaske nake\". A wani sakon kuma ta wallafa cewa: \"Ina tsoron 'yan gidanmu za su kashe ni\". Wannnan lamarin yayi kama da na wata 'yar Saudiyya da ita ma ta sami matsala a kan hanyarta ta zuwa Ostreliya a 2017. Ita ce Dina Ali Lasloom mai shekara 24 wadda ke kan hanyarta ta zuwa kasar Filifins daga Kuwait, inda 'yan uwanta suka tilasta mata komawa Saudiyya daga filin jirgi na Manila. Ta yi amfani da wayar salular wani matafiyi dan kasar Kanada wajen aikawa da sakon bidiyo da aka wallafa a Tiwita da ke cewa 'yan uwanta za su kashe ta. Har yanzu babu wanda ya san halin da ta ke ciki bayan da aka mayar da ita Saudiyya."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47843401", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-47844850", "doc1": "ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে প্রায় ২,০০০ সিংহ আছে। চোরাশিকারি সহযোগীরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারে হাতির কবলে পড়ে নিহত হয়েছেন তিনি। মৃত চোরাশিকারির পরিবার এরপর এই ঘটনা পার্কের কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর বৃহস্পতিবার একটি অনুসন্ধান দল নিহত চোরাশিকারির দেহাবশেষ খুঁজতে গিয়ে একটি খুলি এবং একটি ট্রাউজার বাদে অন্য কোনো কিছু পায়নি। পার্কের ব্যবস্থাপনা নির্বাহী ঐ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, \"ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে অবৈধভাবে বা পায়ে হেঁটে প্রবেশ করা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এর ফলে অনেক বিপদ ঘটতে পারে এবং এই মৃত্যু সেটাই প্রমাণ করে।\" ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে অনেকদিন ধরেই চোরাশিকার সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোতে গন্ডারের শিংএর চাহিদা ব্যাপক। শনিবার হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ২১ লাখ ডলার মূল্যের গন্ডারের শিংয়ের চোরাচালান আটক করেছে। আরো পড়তে পারেন: পুরনো ঢাকাকে যেভাবে নতুন করতে চায় সরকার যেভাবে ১০০ দিনে ৮ লাখ মানুষ হত্যা করা হয় মিশরে সমাধিক্ষেত্রে পাওয়া গেলো ইঁদুরের মমি আগুনে মাদ্রাসা ছাত্রীর 'শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে'", "doc2": "Zaki ya cinye mafarauci bayan da giwa ta halaka shi Abokin tafiyar mafaraucin ne ya shaida wa iyalansa cewa giwa ta hallaka shi ranar Talata. Daga nan ne kuma 'yan uwansa suka shaida wa masu kula da gandun dajin. A ranar Alhamis ne aka tsinci riga da wandonsa da kuma kasusuwansa a gefe guda a kokarin da ake yi na samo gawarsa. Hukumar da ke kula da gandun dajin dai ta mika sakon jajantawa ga iyalan mafaraucin. Haka kuma hukumar ta gargadi masu shiga dajin da kafa cewa yin hakan yana da matukar hadari ga rayuwarsu, kuma wannan lamari da ya faru hujja ce a kan hakan. Gandun dajin dai na fama da matsalar karuwar mafarauta a cikinsa wadanda ke shiga dajin domin nema kahon bauna, saboda tsananin bukatarsa da ake yi a kasashen Asiya. Ko a ranar Asabar din da ta gabata ma dai , mahukunta a filin jirgin saman Hong Kong sun kwace wani kahon bauna mafi girma da aka taba gani a cikin shekara biyar, wanda kuma darajarsa ta kai dala miliyan biyu da rabi."} {"doc1_url": "https://www.bbc.com/bengali/news-47759128", "doc2_url": "https://www.bbc.com/hausa/labarai-47733733", "doc1": "আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটে আরো দুটো যমজ শিশু রয়ে গেছে। ওই নারীর চিকিৎসকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গর্ভকাল পূরণ করার আগেই প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ২০ বছর বয়সী আরিফা সুলতানা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রথম শিশুটির জন্ম দেন। এর ২৬ দিন পর আবারও তার পেটে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখতে পান যে তিনি আসলে তখনও অন্তঃসত্ত্বা। তার দ্বিতীয় একটি জরায়ুতে আরো দুটো যমজ শিশু বেড়ে উঠছে। তখনই দেরি না করে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই দুটো শিশুরও প্রসব ঘটানো হয়। জন্মের পর যমজ শিশু দুটো স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং কোন জটিলতা না থাকায় চারদিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আরিফা সুলতানা তার তিনটি নবজাতককে নিয়েই বাড়িতে ফিরে যান। আমরা বিস্মিত হয়েছি আরিফা সুলতানার প্রথম শিশুর জন্ম হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর ঠিক ২৬ দিন পর তিনি আবার বলতে থাকেন যে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। পরে ২১শে মার্চ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোরের আদ-দীন হাসপাতালে। গাইনোকলিজস্ট ড. শীলা পোদ্দার তখন অপারেশন করে যমজ ওই দুটো শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শীলা পোদ্দার বিবিসিকে বলেন, \"রোগীকে যখন নিয়ে আসা হলো তখন আমরা আলট্রাসাউন্ড করে দেখতে পাই যা তার পেটে যমজ শিশু রয়েছে।\" \"এতে আমরা খুব বিস্মিত হয়ে যাই। আমার জীবনে আমি এরকম ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি।\" তবে দ্বিতীয়বার কেন তিনি ভিন্ন একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, এবং কেন প্রথম সন্তান জন্মের সময়ই তার পেটে আরো বাচ্চা থাকার ব্যাপারটা বোঝা যায় নি - সেটি খুব একটা পরিষ্কার নয়। চিকিৎসক বলছেন, মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে আরো পড়তে পারেন: গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে আগুন নিয়ন্ত্রণে মৃত মস্তিষ্ক নিয়েও সন্তান জন্ম দিলেন এক নারী ব্রেক্সিট: আর কী বিকল্প হাতে আছে ব্রিটেনের? ড. পোদ্দার বলেনে, মিজ সুলতানা এবং তার স্বামী \"খুবই গরিব মানুষ এবং ওই নারীর এর আগে কখনো আলট্রাসাউন্ড করা হয়নি।\" \"আরিফা সুলতানার কোন ধারণাই ছিল না যে তার পেটের ভেতরে আরো দুটো বাচ্চা আছে। তাদের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে।\" \"বাচ্চারা এবং তাদের মা ভাল আছে। আমি খুব খুশি যে সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয়েছে,\" বলেন ড. শীলা পোদ্দার। সিঙ্গাপুরের একজন গাইনোকলজিস্ট বলেছেন, দুটো জরায়ু থাকা খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। \"মানুষ যেরকম মনে করে আসলে তা নয়।\" \"আপনি যদি আগে কোন স্ক্যান করান তাহলেই দেখতে পাবেন যে পেটের ভেতরে দুটো জরায়ু আছে। কিন্তু যেহেতু তারা একেবারেই গ্রামের মানুষ তাই হয়তো তাদের কখনো আলট্রাসাউন্ডই করা হয়নি।\" বলেন ড. ক্রিস্টোফার এনজি। \"মনে হচ্ছে একই সময়ে তার তিনটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েছিল এবং সেকারণে তার তিনটি ভ্রূণের জন্ম হয়েছে,\" বলেন তিনি। মিজ সুলতানা বলেছেন, তিন বাচ্চা নিয়ে তিনি খুব খুশি। তার একটাই দুশ্চিন্তা এদেরকে তিনি বড় করবেন কীভাবে! বার্তা সংস্থাকে এএফপিকে তিনি বলেছেন, তার স্বামী একজন দিনমজুর এবং তিনি মাসে ৬,০০০ টাকার মতো রোজগার করেন। তার স্বামী বলেছেন, বাচ্চাদেরকে লালন পালন করার খরচ যোগাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন। তিনি বলেন, \"এটা আল্লাহরই এক অলৌকিক ঘটনা যে আমার সব বাচ্চারাই ভাল আছে। তাদেরকে খুশি রাখার জন্যে আমি যা করা দরকার সেটা আমি করবো,\" বলেন তিনি।", "doc2": "Sultana ba ta san cewa tana dauke da cikin 'yan uku ba ne Arifa Sultana, mai shekara 20, ta haifi dan nata ne a karshen watan Fabrairu, amma bayan kwana 26 sai aka sake garzayawa da ita asibiti bayan da ta yi korafin cewa tana fama da ciwon ciki. Likitoci sun gano cewa tana dauke da cikin 'yan biyu a mahaifarta, sai suka yi mata aikin gaggawa don cire su. An ciro 'yan biyun nata cikin kashin lafiya, kuma daga bisani aka sallame ta daga asibiti ba tare da wata matsala ba. 'Mun kadu' Sultana, wacce ta fito daga wani kauye, ta haifi jariri na farkon ne a asibitin koyarwa na Khulna da ke gundumar Khulna. Bayan kwana 26, sai ta yi korafin ciwon ciki aka sake mayar da ita asibitin Ad-din da ke yankin Jessore ranar 21 ga watan Maris, kamar yadda likitar mata Dr Sheila Poddar, wanda ita ta yi aikin fid da jariran ta shaida wa BBC. Sai dai wasu kafofin yada labaran sun ce ranar 22 ga watan Maris aka yi aikin. \"A yayin da mara lafiyar ta zo sai muka yi mata hoton ciki inda muka gano jarirai biyu a cikinta,\" in ji Dr Poddar. \"Mun kadu matuka kuma mun yi mamaki. Ban taba cin karo da wani abu makamancin haka ba a rayuwata.\" Sai dai ba a san dalilin da ya sa matar ta je wani asibitin daban da wanda ta haihu tun farko ba. A cewar Dr Poddar, Sultana da mijinta \"talakawa ne\" kuma ba a taba yi mata hoton ciki ba,\" kafin ta haifi jaririnta na farkon. \"Ba ta san cewa akwai wasu jariran a cikinta,' in ji Dr Poddar. \"Sai muka yi mata fida muka ciro mata 'yan biyu, mace da namji.\" An sallami Sultana da jariranta daga asibiti ranar 25 ga watan Maris, bayan da suka shafe kwana hudu. \"Ita da jariran na cikin koashin lafiya. Ina matukar farin cikin ganin komai ya tafi daidai,\" in ji Dr Poddar. Wani likitan mata a Singapore ya ce matar na da mahaifa biyu ne - kuma al'amari ne da ba a faye samu ba a tsakanin mata. \"Idan aka yi hoton ciki da wuri, za a iya gano cewa akwai mahaifa biyu. Sai dai kuma a gaskiya ita wannan mata daga kauye futuk ta fito don haka ba su da hanyoyin yin hoton ciki,\" kamar yadda Dr Christopher Ng na asibitin GynaeMD ya shaida wa BBC. \"Ga alama kwayaye uku ne suka shiga mahaifarta a lokaci guda, wanda hakan ne ya sa ta dauki cikin 'yan uku.\" Ms Sultana ta ce ta yi matukar farin cikin haihuwar 'yan ukunta amma tana fargabar shiga matsala wajen kula da su saboda halin talauci da take ciki, a cewar kamfanin dillancin labarai na AFP. Abun da mijinta ke samu a wata bai kai dala 95 ba, (naira 34,200) a matsayinsa na lebura, amma ya shaida wa AFP cewa zai yi iya bakin kokarinsa. \"Wannan wata mu'ujiza ce daga Allah kasancewar 'ya'yana cikin koshin lafiya. Zan yi bakin kokarina na ga sun kasance cikin farin ciki.\" Wakiliyar BBC Yvette Tan ce ta ruwaito labarin."}