source_link,newspaper_name,published_date,headline,short_description,sentiment https://www.dailyjanakantha.com/politics/news/692739,দৈনিক জনকণ্ঠ,১২ জুলাই ২০২৩,জানুয়ারিতে দেখিয়ে দেয়া হবে সুষ্ঠু নির্বাচন কত প্রকার ও কী কী,"সুষ্ঠু নির্বাচন কত প্রকার ও কী কী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তা দেখিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ফজলে নূর তাপস বলেন, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে, তাদেরকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমরা দেখিয়ে দেব, সুষ্ঠু নির্বাচন কত প্রকার ও কী কী। আজকে ঢাকা ফুঁসে উঠেছে। আমরা আর কোনো নৈরাজ্য বরদাস্ত করব না। আজকে থেকে আমরা আর ঘরে যাব না। ৭১ সালে মানুষ যেমন রণাঙ্গনে গেছে, তেমনি আমরা রাজপথে থাকব। এসময় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/686491,দৈনিক জনকণ্ঠ,৯ মে ২০২৩,সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং হবে আসন্ন সিটি নির্বাচন ,"আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন ও মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে ব্যাপারে কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচনের দিন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/politics/news/696767,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৪ আগস্ট ২০২৩,"সংসদ নির্বাচন, জাতিসংঘ কী চায় জানালেন ওবায়দুল কাদের","জাতিসংঘ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় সে নির্বাচনে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল অংশ নিক। নির্বাচনে আসতে তাদের কেন জোরাজুরি করব। নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের অধিকার। কোনো সুযোগ নয়। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জাতিসংঘ। আওয়ামী লীগও চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে দেশ-বিদেশে তত গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। একই সঙ্গে সে নির্বাচনে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল অংশ নিক, সেটাও চায়। নির্বাচনে আসতে তাদের (বিএনপিকে) কেন জোরাজুরি করবো? রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের অধিকার, কোনো সুযোগ নয়। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিতে জোর দিচ্ছে সেসব বিষয়ে তাদের (জাতিসংঘের) কোনো বক্তব্য নেই, কোনো মাথাব্যথাও নেই। তারা বলেছে, এগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/675989,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৫ জানুয়ারি ২০২৩,"রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি, তফসিল ঘোষণা","দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে যতক্ষণ সময় লাগে। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আগামী ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী তার আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/entertainment/others-entertainment/689245,দৈনিক জনকণ্ঠ,৫ জুন ২০২৩,ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম,"ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেবেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সোমবার (৫ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান হিরো আলম। আজ দুপুর ৩টায় নির্বাচন কমিশন থেকে ফর্ম নেওয়ার কথা রয়েছে তার। হিরো আলম বলেন, ‘অনেকটা নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’ তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবেই এলাকায় জনসংযোগ করতে চেষ্টা করছি। আর বগুড়াবাসী চায় আমি এমপি হয়ে তাদের হয়ে কাজ করি।’ এর আগে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) দুটি আসন থেকেই সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন হিরো আলম।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/680102,দৈনিক জনকণ্ঠ,৫ মার্চ ২০২৩,৫ সিটি নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ,"দেশে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রবিবার (৫ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যেটা আলোচনা হয়েছিল গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হয়।’ ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা।’ তিনি বলেন, ‘১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ভোটের সময়। সে হিসেবে যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য নির্বাচনগুলো আগে করার চেষ্টা করবো। মার্চের পরে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেক দেরি। ওটাকে আমরা এর মধ্যে আনছি না। বাকি পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়তো দুই দিনে হতে পারে। তিনদিনে হতে পারে। জুন মাসের মধ্যে দুটি সিটি ভোট করার ইচ্ছা আছে। তবে এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয়নি।’ সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের উপরে। আমরা বাজেট চাইবো। টাকা পাইলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ আছে। নতুন ইভিএম আসেনি। ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সে জন্য টাকা লাগবে। সার্ভিসিং করিয়ে যদি সচল করতে পারি তার উপরে নির্ভর করবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করবো।’",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/697023,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৭ আগস্ট ২০২৩,বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য,"যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও চাই নির্বাচন যেন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়। একই সঙ্গে সাংবাদিকরা যেন অবাধে কাজ করতে পারেন সে বিষয়েও ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন। এর আগে, বেলা ১১ টার দিকে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কাজী হাবিবুল আউয়াল।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/692847,দৈনিক জনকণ্ঠ,১৩ জুলাই ২০২৩,"কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নেই, যুক্তরাষ্ট্র চায় সুষ্ঠু নির্বাচন","যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দলের প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবা‌দিক‌দের এ কথা ব‌লেন তিনি। উজরা জেয়া বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে, সে নির্বাচন কবে হবে তা বাংলাদেশই ঠিক করবে। বাংলাদেশের ওপর আরোপিত মার্কিন ভিসা পলিসি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রতিশ্রুতি আছে, সে প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করতে এ ভিসানীতি। কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। আমরা একটা নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন‌কে সাম‌নে রে‌খে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লোর ম‌ধ্যে সংলাপ নি‌য়ে প্রত্যক্ষ কো‌নো হস্ত‌ক্ষেপ কর‌বে না বলেও জানান তিনি। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন উজরা জেয়া।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/697042,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৭ আগস্ট ২০২৩,নির্বাচন কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা আছে পুলিশের,"নির্বাচনকালে পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্বপালন করে জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, শতবর্ষের পুরোনো প্রতিষ্ঠান পুলিশ বাহিনী। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছে। এ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমাদের যে প্রশিক্ষণ রয়েছে, ২ লাখ ১২ হাজার লোকবল রয়েছে, লজিস্টিক রয়েছে, আইনগতভাবে কি করা প্রয়োজন, আমার সীমাবদ্ধতা কি সে সম্পর্কে সব সদস্যকে ব্রিফ করা আছে। পুলিশ প্রধান আরও বলেন, আমরা জানি নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন আমাদের যে দায়িত্ব অর্পণ করবে সেই দায়িত্ব আমরা আমাদের সব সক্ষমতা দিয়ে পালন করবো। রবিবার দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি আরও বলেন, কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। আমি বলেছি, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর লজিস্টিক আছে, সক্ষমতা আছে ও প্রশিক্ষণ আছে। আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দিয়ে যেকোনো ধরনের নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর যে সক্ষমতা আছে, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি যদি কেউ ঘটাতে চায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/opinion/news/688560,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৯ মে ২০২৩,প্রযুক্তির মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন,"ইভিএমের সঠিক ব্যবহারে ভোট পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব তা গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রমাণ হলো। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশনের স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। চমৎকার পরিবেশ পেয়ে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিয়েছে তাদের কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে। সমগ্র দেশবাসীরও কড়া নজর ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের ওপর। সব কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল ইভিএম দিয়ে, এটাও ছিল দেশবাসীর তীক্ষè দৃষ্টির অন্যতম কারণ। বলা চলে, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র আট মাস বাকি থাকতে কোনো ধরনের গোলযোগ-অভিযোগ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে এই ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে বিগত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনের তুলনায় গাজীপুরের এই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থান, সিসি ক্যামেরার ব্যবহার, ভোটের আগের রাতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল এবং এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের কঠোর অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। তবে সরকারের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বাংলাদেশের সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণাও গাজীপুরের ভোটে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সরকার ও কমিশনের এমন অবস্থানের ফলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত হয়েছে, যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য একটি শুভ বার্তা। অবশ্য এই বার্তার মুখ্য ভূমিকায় ছিল ইভিএমের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা। ইভিএম পদ্ধতিতে আগামী মাসে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও ইভিএম এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা গাজীপুরের চেয়েও আরও সহায়ক হবে এমনটি এখন দেশবাসীর প্রত্যাশা। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/694719,দৈনিক জনকণ্ঠ,২ আগস্ট ২০২৩,নির্বাচনী অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা চায় নির্বাচন কমিশন,"আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য মেটা ইনকরপোরেশনের সঙ্গে বৈঠকেও বসবে সংস্থাটি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে মেটার একটি টিম বৈঠক করবে। বৈঠক করতে মেটার বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর থেকে আসবে বলে জানা গেছে। এ প্রতিনিধি দল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন প্রচারমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে চায়। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে তারা কীভাবে সহায়তা দিতে চায় মূলত সেই বিষয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ফেসবুকের প্রতিনিধি দল সাক্ষাতের সময় চেয়েছে। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/688169,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৫ মে ২০২৩,গাজীপুরের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে,"“আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।” “আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।” তিনি বললেন, “আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।” এদিন সকাল ৮টায় দেশের সবচেয়ে বড় এ সিটি করপোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয় বিকাল ৪টায়। জাতীয় নির্বাচনের আট মাস বাকি থাকতে গাজীপুরের এ ভোটের দিকে ছিল সবার নজর। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে পারা নির্বাচন কমিশনের জন্যও চ্যালেঞ্জ ছিল। সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সকাল থেকেই ঢাকার নির্বাচন ভবনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রতিক্রিয়া জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চার নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “গাজীপুরের ভোট মিডিয়াসহ সবাই দেখেছেন; সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষেভাবে ভোট হয়েছে। প্রার্থী সবাই সন্তুষ্ট, যেই ফলাফলই হোক, সবাই মেনে নেবে বলেছেন।”",Positive https://www.dailyjanakantha.com/details/article/621741/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A7%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A7%AE%E0%A7%AA%E0%A7%A6-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8/,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৬ ডিসেম্বর ২০২১,আজ ৪র্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচন,"স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ রবিবার চতুর্থ ধাপে সারাদেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা করা হবে। ৮৪০টির মধ্যে ৩৩ ইউপিতে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ ছাড়া আজ ৩টি পৌরসভার নির্বাচনও ইভিএমে হচ্ছে। এদিকে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ চতুর্থ ধাপের ভোটের দিন সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে জানানো হয়, আজ ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি নেই। তবে নির্বাচনী এলাকাধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারণ রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। চতুর্থ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৮১৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ হাজার ৫১৩ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে এ ধাপে ১৬টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। এর আগে ৩ ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ করেছে ইসি। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/economy/news/690890,দৈনিক জনকণ্ঠ,২১ জুন ২০২৩,সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এফবিসিসিআই নির্বাচন দাবি,"সিলেকশন নয়, এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এফবিসিসিআই পরিচালক পদের নির্বাচন দাবি করছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন নেতৃত্বাধীন এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হতে চলায় আগামী ৩১ জুলাই নতুন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচন ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে এফবিসিসিআই। নির্বাচন ঘিরে সারা দেশের ছোট-বড় প্রায় সাড়ে চার কোটি ব্যবসায়ীর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। সরকারের সমর্থন থাকায় ইতোমধ্যে পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মাহবুবুল আলমের প্রতি পুর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সাবেক সভাপতিরা। ওই হিসাবে চট্টগ্রামের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী নেতাই আগামী দিনের জন্য এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হতে চলেছেন। জানা গেছে, নির্বাচন না দিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে এবারও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে- এই প্রক্রিয়ায় দেশের শীর্ষ ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বরাবরই উপেক্ষিত থাকেন। ফলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা ও সঙ্কট নিরসনে মূলত এই সংগঠনটির কার্যক্রম ক্রমেই দূর্বল হয়ে পড়ছে। শুধু তদবির ও লবিংয়ের জোরে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদ বাগিয়ে নিয়ে সিআইপি মর্যাদার সুযোগ নিচ্ছেন নামধারী কিছু ব্যবসায়ী নেতা। ফলে খাতভিত্তিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সঙ্কট উত্তরণে এবার সরাসরি ভোটের দাবি করছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা বলছেন, সভাপতি পদে সরকার যাকে সমর্থন দিবেন তাঁকেই আমরা সর্বাত্বক সমর্থন ও সহযোগিতা করবো। কিন্তু পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন হওয়া উচিত। অন্যথায় খাতভিত্তিক প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সংগঠনটিতে আসতে পারবেন না। সম্প্রতি এফবিসিসিআই নির্বাচন নিয়ে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের উদ্যোগে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা লেডিস ক্লাবে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/politics/news/698712,দৈনিক জনকণ্ঠ,১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩,বিশিষ্টজনরা নির্বাচন আইনের কঠোর প্রয়োগ চান,"আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের বিশিষ্টজনরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন আইনের কঠোর প্রয়োগ চান। সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কঠিন অবস্থার মধ্যে আছে। নির্বাচনটা ভালো করতে ‘পলিটিক্যাল উইল’ থাকতে হবে। এটা আমাদের কাছ থেকে আসবে না। ‘পলিটিক্স’ থেকে আসতে হবে বা সরকার থেকে আসতে হবে। তিনি বলেন, এটা বিলেতের বা অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন হচ্ছে না। তাই অনেকগুলো সংকট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। এ কথাটি আমরা বারবার বলেছি। অবশ্য এরমধ্যেও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়ে আশাবাদী। তিনি স্পষ্টভাবে বারবার সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এর আগে কোনো সরকার কখনো এমন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এজন্য আমি বলব- আস্থা রাখতে চাই। সিইসি বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের তরফ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা বলায় আমরা অত্যন্ত আশ্বস্তবোধ করছি। আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে তা হতে হলে সবার আন্তরিক ‘পলিটিক্যাল উইল’ থাকতে হবে। সিইসি বলেন, যতটা প্রচার হয় নির্বাচন কমিশন এতটা ভীতু ও নৈতিকতা বিবর্জিত নয়। আর আরপিও সংশোধনীর কারণে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে যা প্রচার করা হয় তা অপপ্রচার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশিশক্তি আছে। এর ফলে প্রিসাইডিং অফিসাররা অসহায় হয়ে পড়েন। আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারব। তবে যার জন্য নির্বাচন বাতিল হবে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না। সিইসি বলেন, কোনো একটা রাজনৈতিক দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করবে না। তাই মিডিয়ায় ওই বক্তব্যগুলো প্রচার করা যাবে না, যে বক্তব্যগুলোতে নির্বাচন কমিশন খাটো হবে, সরকার খাটো হবে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/693297,দৈনিক জনকণ্ঠ,১৮ জুলাই ২০২৩,বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, আমি বলবো যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং সহিংসতার জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি। ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি আবারও শুধু বলবো যে ধরনের সহিংসতা আপনি উল্লেখ করেছেন গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই।’ উপ-নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। এই উপনির্বাচনে ভোট পড়ার হার ১১ দশমিক ৫১।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/698064,দৈনিক জনকণ্ঠ,৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,নাটোর-৪ আসনের উপ-নির্বাচন ১১ অক্টোবর,"নাটোর-৪ আসনের (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) উপ-নির্বাচন আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এই আসনে ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে। ভোটকেন্দ্রে থাকবে না সিসি ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ১১ অক্টোবর। গত ৩০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে মো. আব্দুল কুদ্দুস ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক গেজেটে নাটোর-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতেও পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ আগস্ট আসনটি শূন্য হওয়ায় পরবর্তী ৯০ দিন ধরলে এ আসনে উপ-নির্বাচন আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/697660,দৈনিক জনকণ্ঠ,২ সেপ্টেম্বর ২০২৩,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ’২৪ সালের ৪ জানুয়ারি!,"আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার করার একটি রেওয়াজ রয়েছে। সে হিসেবে ৪ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান শনিবার জানিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো তারিখে হবে সেটা তিনি উল্লেখ করেননি। সে ক্ষেত্রে অতীতের সব জাতীয় নির্বাচন বৃহস্পতিবার হতে দেখা গেছে। নির্বাচন যদি এক সপ্তাহ পেছায়, তা হলে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হতে হবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর সংসদ সদস্যদের শপথ, মন্ত্রীদের শপথ ও সরকার গঠন করার বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা থেকে যায়। ফলে নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছেÑ এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এর আগে গত বুধবার নির্বাচন কশিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে। নভেম্বরে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি অ্যাপ চালুর পরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অথবা নভেম্বরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ৩০ জুলাই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।",Positive একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ জামায়াতমুক্ত সংসদ এবং আমাদের প্রত্যাশা,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৬ জানুয়ারি ২০১৯,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ জামায়াতমুক্ত সংসদ এবং আমাদের প্রত্যাশা,"(গতকালের সম্পাদকীয় পাতার পর) ২. বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ দেয়া মেনে নিতে পারেননি। এই একটি কারণে বিএনপির বহু সমর্থক এবার ভোট দিতে যাননি। ৩. গত আট বছরে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারের মাধ্যমে ’৭১-এর গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জামায়াতের সম্পৃক্ততার যে সব প্রমাণ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জামায়াতের প্রতি সাধারণ মানুষের ঘৃণা অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ৪. ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদের প্রাক্কালে উচ্চতর আদালত কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জামায়াত যেহেতু দল হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে না- তারা বিএনপিকেও নির্বাচন করতে দেয়নি। সেবার জামায়াত-বিএনপি শুধু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাই দেয়নি, তাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তারা- বিশেষভাবে হিন্দু সম্প্রদায় ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জামায়াত-বিএনপির জোট যে নজিরবিহীন আগুন সন্ত্রাস সংঘটিত করেছে তাতে সাধারণ মানুষ এ দল দুটি সম্পর্কে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। এবার তাদের ভয় ছিল- নির্বাচনে জিতলে বিএনপি-জামায়াত ২০০১-এর চেয়ে বেশি সন্ত্রাস করবে। ৫. একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সমমনা বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নির্বাচনের প্রাক্কালে জামায়াত-বিএনপির দুঃশাসন ও সন্ত্রাসের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে বহুমাত্রিক প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছে। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/268128,দৈনিক জনকণ্ঠ,১৪ মে ২০১৭,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত হচ্ছে,"শাহীন রহমান ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগেই এসব রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হবে। রোডম্যাপে আগামী নির্বাচনের আগেই আইন-বিধি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া, ৩শ’ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নীরক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করা এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনায় বসে করণীয় নির্ধারণের বিষয় রয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে আজ রবিবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে আলোচনার পরই খসড়া এই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে সে অনুযায়ী অগ্রসর হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে রোডম্যাপে ২৩টি এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসি সচিব জানিয়েছেন, বৈঠকে এসব রোডম্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির সামনে ছয়টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রয়েছে। জানা গেছে, ইসির সামনে সিটি কর্পোরশেন ছাড়া আর কোন নির্বাচন না থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তারা। এজন্যই আগামী নির্বাচনের আগেই আইন-বিধি সংস্কার, নির্বাচনের আগেই ৩শ’ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছেন তারা। পাশাপাশি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়া, নির্বাচনের বাজেট প্রস্তুত করার বিষয়ও এই রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ",Positive একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হোক,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৭ নভেম্বর ২০১৮,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হোক,"গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভোটাধিকার নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগ করেই জনগণ তাদের সমর্থন জানায় কাক্সিক্ষত আদর্শের প্রতি। গণতন্ত্রের এই শান্ত স্নিগ্ধ পথযাত্রায় কেউ জয়ী বা কেউ বিজিত। ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত দল বা গোষ্ঠী যখন আদর্শিক কারণে অপশক্তির প্রশ্রয়ে ও আগ্রাসনে প্রতিরোধবিহীন তখন অসম্ভব ভীতিকর ঘটনা ঘটতেই পারে। ইতিহাসের এই জঘন্যতম বর্বরোচিত কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ও পরবর্তীতে। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মানবতা লাঞ্ছিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ল-ভ-। মহান মুক্তিমুদ্ধের অবিনাশী চেতনাবিরোধী শক্তি সমগ্র বাংলাদেশে শুরু করে নারকীয় তা-ব। এদের দ্বারা সংঘঠিত হত্যা, ধর্ষণ, সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ, সম্পদ লুণ্ঠন, জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, শারীরিক নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের ন্যায় অসংখ্য ঘটনায় মানবতা ছিল ক্রন্দনরত। বিজিত দল আওয়ামী লিগের নেতাকর্মী বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদের নির্মম, পাশবিক, হিংস্র ও জান্তব আক্রোশের শিকার। প্রতিটি সহিংস ঘটনা যেন মথিত হৃদয়ের বেদনার্ত সমগ্রতা নিয়ে জীবন্ত অসহায় চিৎকারে বলেছেÑ এই কি আমাদের জন্মভূমি? অপরাধীদের কোন জবাবদিহিতা ছিল না, নির্বিকার ছিল প্রশাসন। পক্ষান্তরে ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। বিজিত দল বিএনপি, জামায়াত। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নির্মমতার অভিজ্ঞতায় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি অমূলক ছিল না। কিন্তু জাতি উৎকণ্ঠিত ও শঙ্কিত হলেও নির্বাচনে বিজয়ী প্রধান রাজনীতিক দলের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা, সহনশীল আচরণ ও প্রতিশোধ বিবর্জিত মানসিকতার কারণে তাঁর নির্দেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সংযত আচরণ ও পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব জাতি তৎসময়ে স্বস্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, আন্তরিকতা, প্রজ্ঞা ও সহনশীলতা গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয়। নির্বাচন পরবর্তী এই সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সহিংসতার উৎস কি? এ প্রসঙ্গে নির্দ্বিধায় বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অর্জন ’৭২’র সংবিধানের মূল চেতনাকে ধ্বংস করে সাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ সংবিধানের প্রবর্তন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূলনীতি হিসেবে ভিত্তি করে ১৯৭২ সালের সংবিধান রচিত হওয়ায় এবং ধর্মনিরপেক্ষতা মৌলিক চার নীতির অন্যতম নীতি হওয়ায় বাংলাদেশে চমৎকার এক উজ্জ্বল অসাম্প্রদায়িক ইতিহাসের সূচনা হয়। বস্তুত এটা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জন্য বড় অর্জন, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যা ছিল অনন্য। একটি রাষ্ট্র কতটুকু সভ্য, আধুনিক এবং জনগণের অধিকার ও মর্যাদার প্রতি কতটা দায়বদ্ধ, তার পরিচয় পাওয়া যায় সে দেশের সংবিধানে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/622626,দৈনিক জনকণ্ঠ,৩০ ডিসেম্বর ২০২১,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি আজ,"বিশেষ প্রতিনিধি ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আজ তৃতীয় বর্ষপূর্তি দিবস। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকল ষড়যন্ত্র-প্রতিক‚লতা ভেদ করে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অতীতের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত প্রায় সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ওই নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়। তিন শ’ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসনে বিজয়ী হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশের বড় দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। ১ হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন, যার মধ্যে ১২৮ জন ছিলেন স্বতন্ত্র। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট ২৮১টি আসনে বিজয়ী হয়। জনগণ কর্তৃক নির্বাচনে ফের প্রত্যাখ্যাত হয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপির ৫ জনসহ ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে বিজয়ী হয়।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/400362,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৯ জানুয়ারি ২০১৯,কাল বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন,"আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। প্রথম দিনের কার্যসূচি ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এখন ব্যস্ত সংসদ সচিবালয়। প্রস্তুত করা হচ্ছে সংসদ কক্ষ। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৩ জানুয়ারি নতুন সংসদের এমপিদের শপথ আর ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। ফলে এখন একাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রায় অপেক্ষা শুধু আগের সংসদের মেয়াদ পূর্তির। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের শুরুতেই বিদায়ী স্পিকার স্বাগত ভাষন দেবেন। এরপর নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করবেন। ওই দিনই সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এরপর নতুন স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে সংসদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানোর পর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন স্পিকার। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী কিছু সময়ের জন্য বিরতি থাকবে অধিবেশনে। দশম সংসদের সব শেষ অধিবেশন থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে জারি করা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশসমূহ বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হবে। এরপর গঠন করা হবে কার্য উপদেষ্টা কমিটি। এই কমিটি ৩১ জানুয়ারি চলতি অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচি চূড়ান্ত করবেন। পরে একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম কার্যদিবস।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/bangladesh/news/688021,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৪ মে ২০২৩,"মাঠ গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৎপরতা নেই বিএনপির ","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-৪ আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনী তৎপরতা । জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে দল গোছানো ও নির্বাচনী মতবিনিময় শুরু করেছেন। তবে বিএনপির সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী এখনো সেভাবে মাঠে নামেননি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে কিনা বা তা না হলে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে দিন কাটছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের। ফলে মাঠে নেই তাদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড। এবারে বর্তমান সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী লবিং করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং রংপুর জজ কোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার মো. রফিক হাছনাইন। ২০১৮ সালে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এবারও দলীয় টিকেট চাইবেন তিনি। দল চাইলে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শিল্পপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পীরগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থী জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শিল্পপতি মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল জাপার মনোনয়ন পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/382348,দৈনিক জনকণ্ঠ,৪ নভেম্বর ২০১৮,নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ লাখ ২০ হাজার সদস্য নিয়োগ,"শংকর কুমার দে ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে ৭ লাখ ২০ হাজার। জাতীয় সংসদের ৩শ’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকার ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে ও ভোট কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনী বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৬শ’ ৭৫ কোটি। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পেছনেই ব্যয় হবে প্রায় তিনগুণ যার অর্থ দাঁড়ায় প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি ভোটার যাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধে ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য নির্বাচনী নিরাপত্তার এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নির্র্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইচ্ছা করলে এই পরিকল্পনার কাট ছাট করে সংযোজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১৫-১৮ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/351284,দৈনিক জনকণ্ঠ,৪ জুন ২০১৮,একাদশ সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ৬৭৫ কোটি টাকা,"ভোটের বছরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন; সেই সঙ্গে নতুন অর্থবছরে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের জন্য পাচ্ছে ৬০৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ভোটের জন্য ১২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখুলেসুর রহমান বলেন, “ভোটের জন্য আমরা ১২ শ’ কোটি টাকার বেশি চেয়েছিলাম। আমরা যা চেয়েছি তা পেয়েছি। তেমন কাটছাঁট হয়নি।” ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের জন্যে প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৭৫ কোটি টাকা; উপজেলা পরিষদের জন্য ৫৭৫ কোটি টাকা; পৌরসভার জন্য ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ১১ কোটি টাকা এবং কিছু সিটি করপোরেশনের ভোটের জন্য বাকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ইসির জন্য ১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তাতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ও উপজেলা পরিষদের জন্য সম পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ ছিল। ওই নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। অর্ধেক এলাকায় ভোট করতে হওয়ায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ অনেক কমে আসে। শেষ পর্যন্ত দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ব্যয় হয় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা, যার ১৮৩ কোটি টাকাই আইন শৃঙ্খলা খাতে যায়। বর্তমান ইসির অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ এর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সরকারের মেয়াদের শেষ বছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এবার ভোটের বছরে বাজেটের আকার চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মত হতে পারে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/367569,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৫ আগস্ট ২০১৮,"দেশজুড়ে এবার জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া, বাড়ছে ভোটের উত্তাপ","সিটি নির্বাচনের পর এবার বইছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া। নির্বাচন কমিশনের মনোযোগ এখন একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে। নির্বাচন নিয়ে পুরো প্রস্তুতি রয়েছে ইসির। রাজনৈতিক অঙ্গনেও মূল আলোচনার বিষয় জাতীয় নির্বাচন। সময় যত এগিয়ে আসছে নির্বাচনী উত্তাপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে সব দলের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে পরিষ্কার কিছু না বললেও তৃণমূলে দলের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দলের প্রার্থী মনোনয়ন, প্রার্থী বাছাই ও তৃণমূলের গণসংযোগও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকেই একাদশ জাতীয় নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসেবে দিন গণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর থেকে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কমিশনের সব কর্মকান্ড এখন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে। সামনে আর কোন বড় নির্বাচন না থাকায় জাতীয় নির্বাচনের দিকেই ইসির একমাত্র মনোনিবেশ। তারা জানায় জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চায় ইসি। এরপর তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেষ করবে তারা। কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইতোমধ্যে প্রস্তুতির ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ কমিশনের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদীয় ৩শ’ আসনের সীমানা গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোটার তালিকাও। তারা জানিয়েছেন, এ বছর নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে না। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও সারাদেশে ভোট কেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকাও ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে চূড়ান্ত করেছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/243953,দৈনিক জনকণ্ঠ,২১ জানুয়ারি ২০১৭,আন্দোলনের পথ ছেড়ে সমঝোতার দিকে হাঁটছে বিএনপি,"একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চায় বিএনপি। সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা, দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলা থেকে রেহাইসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা করে ঘুরে দাঁড়াতে চায় দলটি। এজন্য সরকারকে পুরো পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তি ও কঠোর আন্দোলনে না যাওয়াসহ বিভিন্ন শর্ত মানতে রাজি বিএনপি হাইকমান্ড। সূত্রমতে, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কৌশল হিসেবেই বিএনপি এখন রাজপথের আন্দোলনের দিকে না গিয়ে সংলাপের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। একদিকে ভেতরে ভেতরে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা এবং অন্যদিকে কূটনীতিকদের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের ওপর নানামুখী চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে হলে পরপর দুবার নির্বাচন বর্জন করা যাবে না। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন হোক আর যে সরকারের অধীনেই হোক বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতেই হবে। আর এজন্যই বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের নিশ্চয়তা চায় বিএনপি। উল্লেখ্য, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কথা মাথায় রেখেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ১৮ নবেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতারও ইঙ্গিত দেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকালেও তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব দেন এবং এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/396048,দৈনিক জনকণ্ঠ,১০ জানুয়ারি ২০১৯,একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু ৩০ জানুয়ারি,"একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি বুধবার। ওই দিন বিকেল ৩টায় যাত্রা শুরু করবে নতুন এই সংসদ। সংসদের প্রথম ও বছরের শুরুর অধিবেশন হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী ওই দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আগামী ২৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শীতকালীন এ অধিবেশন আহ্বান করেন। সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখা থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। শুরুর দিন ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- জাতির সামনে তুলে ধরবেন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব জানাতে সাধারণ আলোচনা হয়। আবার চলমান সংসদের কোন এমপি মারা গেলে অধিবেশন শুরুর পর মুলতবি করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেও শপথ নিতে পারেননি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাই অধিবেশন শুরুর পর সৈয়দ আশরাফের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলোচনার পর সংসদের বৈঠক কিছুক্ষণের জন্য মুলতবি করা হবে। এরপর অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন করতে হয়। এজন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হয়। একজন প্রস্তাবক, একজন সমর্থক ও প্রার্থীর সম্মতি লাগে। নানা সূত্রেই জানা গেছে, জাতীয় সংসদের বর্তমান স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্বপদে বহাল থাকছেন। বর্তমান স্পীকারকে আবারও একই পদে রাখার বিষয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের জনসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ডেপুটি স্পীকার কে হবেন, সে বিষয়ে এখনও ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/280853,দৈনিক জনকণ্ঠ,১৬ জুলাই ২০১৭,একাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ,"জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে ইটিআই অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়। সাতটি কর্ম পরিকল্পনা সামনে রেখে বই আকারে এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘এটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্ম পরিকল্পনাই সব নয়। সংযোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করব। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যয় নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’ সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সুপারিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চান সিইসি। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে বলে জানান কে এম নূরুল হুদা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালনা হবে ও রাজনৈতিক কর্ম পরিবেশ কেমন হবে, সে বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়।’ সরকারের কার্যক্রমে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শুধু সরকার কেন, রাজনৈতিক দল অথবা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত করতে পারব আমরা।’ তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সাত অনুষঙ্গ ধরে কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজগুলো এগোনো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ইসির কাজে কোনো কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রসঙ্গের বাইরে সম্প্রতি রাজেনৈতিক নেতার বাসায় ‘সামাজিক অনুষ্ঠানে’ পুলিশের বাধা দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ ধরনের ‘রাজনৈতিক তৎপরতায়’ বাধা দেওয়ার বিষয়ে ইসির কোনো পদক্ষেপ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখায় যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/379816,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৩ অক্টোবর ২০১৮,"নোয়াখালীতে তিন আসনে শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ, অন্যগুলোয় হাড্ডাহাড্ডি","জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ফল আগাম অনুমান করা কঠিন। অতীতে জেলার প্রায় সব আসনে বিএনপির অবস্থান ছিল শক্তিশালী। বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে এবং সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান মজবুত। অপর তিনটি আসনে হবে হাডাহাড্ডি লড়াই। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ছয়টি আসনেই জয়লাভ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নবম সংসদ নির্বাচনে তিনটিতে বিএনপি, দুটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দলীয় মহাজোট এবং বিএনপি তথা নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অংশগ্রহণ করলে ফল হবে মিশ্র। জেলার ছয়টি আসন ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ দারুণ সক্রিয়। বিএনপি চায় হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে। জেলার ছয়টি আসনে প্রার্থী হতে নেতারা দীর্ঘদিন থেকে মাঠে নেমে পড়েছেন। এক সময়ের বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নোয়াখালীর আসনগুলোতে এবারও জয়ী হওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করে যাচ্ছে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী। নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দলীয় মহাজোট ও বিএনপি তথা নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারণায় সরব হয়ে উঠছে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঘন ঘন এলাকা সফর করে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন। পুরো নির্বাচনী এলাকা, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এতে সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। বিএনপি তথা নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকায় আপাতত একক প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগে কে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা। ",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/392850,দৈনিক জনকণ্ঠ,২৫ ডিসেম্বর ২০১৮,একাদশ সংসদ নির্বাচন : ব্যালট পেপার বিতরণ শুরু,"একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্র জানায়, প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট স্থগিত হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট হবে। ছয়টি আসনে ইভিএম এ ভোট হওয়ায় বাকি ২৯৩ আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে। ইসির সহকারী সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে ঢাকার দুটি সরকারি প্রেস (বিজি ও গভর্নমেন্ট) থেকে এসব ব্যালট পেপার বিতরণ করা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাব ও ডিএমপিকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ ও ২৬ ডিসেম্বর জেলা পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে আসনভিত্তিক ভোটের ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। ২৯৩ আসনের মধ্যে যেগুলোর এখনও ঝামেলা রয়েছে (আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষা) সেগুলো যখনই ইসির সিদ্ধান্ত পাব তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি প্রয়োজনে ব্যালট পেপার পৌঁছাতে দুটি হেলিকপ্টারও প্রস্তত রয়েছে বলেও জানান রাশেদ। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার মধ্যে এলাকায় এসব সামগ্রী পৌঁছানো হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচনী প্রশিক্ষণও শেষ। ভোটগ্রহণের জন্য সিল-প্যাডসহ নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শুধু ব্যালাট পেপার ছাড়া অন্য সামগ্রি পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে স্টাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল, মাকিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্টাপ পিন ইত্যাদি সামগ্রি পাঠানো হয়। ইসির ক্রয় ও মূদ্রণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, ব্যালট পেপার বাদে অন্য সব নির্বাচনী সামগ্রী আমরা বিতরণ করেছি।",Positive https://www.dailyjanakantha.com/national/news/363568,দৈনিক জনকণ্ঠ,৪ আগস্ট ২০১৮,বিএনপির তৃণমূল নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে,"একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা একেক সময় একেক রকম কথা বললেও তৃণমূল নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাদের দাবিÑযে কোন পরিস্থিতিতে বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে; তা না হলে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। সর্বশেষ বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়কালে তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। সূত্র মতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে ছিলেন। এ জন্য তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকেও অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের হতাশার মুখে ঠেলে দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করেন। এ কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কিছুদিন দলীয় কর্মকা- থেকে দূরে ছিলেন। অনেকে দলও ত্যাগ করেন। আবার কেউ কেউ রাজনীতি ছেড়ে দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার পরও কেন্দ্র থেকে কোন দিক নির্দেশনা না পেয়ে বিএনপির র্তণমূল নেতাকর্মীরা যখন বিভিন্নভাবে হতাশা ব্যক্ত করতে থাকেন তখন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের টনক নড়ে। তাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রতি জেলা থেকে ৫ জন করে নেতাকে ডেকে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা। এ সময় তৃণমূল নেতারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে মত দেন। তবে নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জোরালো আন্দোলনের পক্ষেও মত দেন তারা। এ আন্দোলনে ২০১৩ সালের আন্দোলনের মতো রাজধানীতে অবস্থান নেয়া নেতারা যেন ঘরে বসে না থাকেন সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন তারা। শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। ",Positive মনে হয় না জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে: ওবায়দুল কাদের,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,মনে হয় না জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে: ওবায়দুল কাদের,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টি (জাপা) দলগতভাবে সরে যাবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বর্জন করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা কেন ভোট বর্জন করেছে এটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ভালো উত্তর পাবেন। তারা যদি বর্জনই করবে তাহলে আমরা কেন আলোচনা করলাম (জাপার সঙ্গে)?' ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যে পাঁচটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে সেগুলো তো কম্প্রোমাইজের সিট নয়। তারা ২৮৭ জন প্রার্থী দিয়েছে, এর মধ্যে ২/৪ জন সরে যেতেই পারে। জাতীয় পার্টির ইতিহাস কী বলে? এরশাদ সাহেবের সময় এবং পরে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা কত? মহাজোট ছেড়ে সরকার গঠনের মতো আসনের ধারে-কাছেও তারা নেই।’ জাপার সঙ্গে আলোচনা করেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তাদের (জাপা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, আমরা অবিচল এবং অটল। আমাদের ওপর এই নির্বাচন ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। আমরা যেকোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব, সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।’ বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা, যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, নির্বাচন কেন্দ্র, সরকারী অফিস, রাস্তা কেটে ফেলা, বাসে-ট্রেনে আগুন, ৫ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা। এবারও তারা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে যথেষ্ট বিচ্ছিন্ন করেছে, যা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রংপুরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাপা চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেন, তারা দলীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা সময় বলে দেবে। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700200,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,অনিয়ম হলেই তাৎক্ষণিক অ্যাকশন: ইসি রাশেদা সুলতানা,"আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ আসবে সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিক অ্যাকশন গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো অনিয়ম পেলে আপনারা (সাংবাদিক) ছবি তোলেন, প্রমাণ দেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব। যেখানেই অনিয়ম সেখানেই আমাদের অ্যাকশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন এর আগে আমরা গাইবান্ধায় ভোটও বন্ধ করেছি।তিনি বলেন, আমাদের যত আয়োজন, সব নির্বাচন ঘিরেই। তাই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আজ থেকে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, আমাদের যত বাহিনী আছে সবই এখন সুশৃঙ্খল ও উন্নত হয়েছে।ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ইসি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/photos/700192,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২,র‍্যাবের অঙ্গীকার নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার,"র‍্যাবের অঙ্গীকার নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তায় প্রতিটি ব্যাটেলিয়ন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।র‍্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যারা নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা করবে, মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করবে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করবে, তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।তিনি আরো বলেন, আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে সুষ্ঠু ও নিরাপদে যাতে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে যেতে পারে। নিশ্চিন্তে যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে র‍্যাব। আমরা প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে, রিটার্নিং অফিসার সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচনের কাজ করে যাচ্ছি।কমান্ডার মঈন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় যে শক্তি র‍্যাব ইন্টেলিজেন্ট সদস্যরা কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই নাশকতার চেষ্টা করছে নির্বাচনে যারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে বাধা দান করা বা নাশকতা সহিংসতার মত বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। যার প্রেক্ষিতে অনেকেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি। কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আমরা বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে আমরা যেখানেই তথ্য পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে এবং নাশকতা কারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে যেন সম্মানিত ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সেজন্য র‍্যাব ফোর্সেস অঙ্গীকারবদ্ধ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700185,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700183,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বঙ্গভবন থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন তারা। ভোটারদের ভোগান্তি এড়াতে কেন্দ্রে না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ভোট দেবেন বলে এর আগে তার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।কেন্দ্রে পারবেন না এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোট দিতে পারেন। তবে সেজন্য আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে হয়। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে হলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ আবেদন করতে হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে পোস্টাল ব্যালট চালু করা হয়েছে। ইসি থেকেও এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়।এর আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ডাকযোগে ভোট দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700180,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচনের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী,"আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে তারা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা মাঠে নেমেছেন।মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ার জন্য সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।আইএসপিআর আরো জানায়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুইটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) মোট ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700165,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচনে সোয়া ৩ কোটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত চেয়ে রিট,"আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সুবিধাভোগী সোয়া ৩ কোটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদান বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছেন।বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।আইনজীবী ড. বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে বাধ্যতামূলক করার বিধান রয়েছে। আমেরিকার দুটি অঙ্গরাজ্যেও ভোট দেয়ার বাধ্যতামূলক বিধান চালু রয়েছে। বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশ। এই দেশেও সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদান বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।তিনি জানান, সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী ২ কোটি ৭৫ লাখ ভোটার রয়েছে। এছাড়াও আধা সরকারি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে মোট সোয়া ৩ কোটি ভোটার রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে এসব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়েছি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700134,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,"ভোটের অধিকার সবার, কাউকে বাধা দেয়া যাবে না","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, এ আসনে আমার সঙ্গে আরো ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আপনাদের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার তাদেরও আছে। আপনারা যাকে যোগ‍্য মনে করেন, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ভোট কেন্দ্রে কাউকে বাধা দেয়া যাবেনা। সবার অংশগ্রহণে যেন এদেশে একটি উৎসবমুখর, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এমন নির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থাশীল। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে লাকসাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর লাকসাম জেলে পাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর বিনই মদিনা মসজিদ মাঠ এবং বিকেলে ২ নম্বর ওয়ার্ড রেলওয়ে হাইস্কুল মাঠ ও ১ নম্বর ওয়ার্ড নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাধারণ মানুষের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমারও ভোট চাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিগত দিনেও আপনারা আমাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ফলে আমি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার এই নির্বাচনী আসনে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেছি, শত শত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিকভাবে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে মানায় না। গণতন্ত্রের নামে বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারে। টেন্ডার চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করে। তারা মানুষের সম্পদ দখল করে। এ দেশের উন্নয়নে তাদের কোন অবদান নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায় বলেই তারা দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তা হতে দেয়া যাবেনা। এ দেশের জনগণ বারবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের মানুষের ভাগ‍্যন্নোয়ন হয়। সাধারণ মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে পছন্দ করেনা বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পারেনা। তাই তারা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবাদের জন্য বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। ভিজিডি চাউল, ভিজিএফ গম ও চাউল বিতরণ বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম আপনাদের সন্তান হিসেবে নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। আমি সেদিন আপনাদের কাছে আসার পর আপনারা আপনাদের সন্তান হিসেবে, ভাই হিসেবে আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। মহান জাতীয় সংসদে এমপি বানিয়ে পাঠিয়েছেন। এভাবে আমাকে আপনারা চারবার নির্বাচিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী করেছেন। তাই আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি নির্বাচিত হয়ে আপনাদের কথা ভুলে যাইনি। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করেছি। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে, সুন্দরভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও জয়যুক্ত করবেন বলে আশা করি। নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সি সাহা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, কাউন্সিলর আবদুল আজিজ, এডভোকেট মাসুদ হাসান, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ উল্ল‍্যাহ, সাবেক কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন বাহার, ওমর আলী, মোশারফ হোসেন মজুমদার, মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানা, মুসফিকা আলম মিতা, নাসিমা আক্তার। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700202,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন বাঁশখালীর এমপি,"ভোটের ৪ দিন আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় জামিন পেয়েছেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম বজলুর রশিদ মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এ জন্যই আজকে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।’বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা নির্বাচনি আচরণ বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ২৬ ডিসেম্বর আদালতে দায়ের করা মামলায় বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। ৩০ নভেম্বর ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী। মনোনয়নপত্র জমা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হন তারা। সে সময় ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন?’প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর লিখিত ব্যাখ্যা চান এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান।পরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন মোস্তাফিজুর। অভিযোগ ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি যে প্রতিবেদন দেয়, সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700137,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,৭ জানুয়ারির পর কোন কিশোর-মাঝারি-বড় গ্যাং থাকবে না,"কিশোর গ্যাং নির্মূলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, কোন কিশোর গ্যাং, বড় গ্যাং, মাঝারি গ্যাং; কোন গ্যাং এই এলাকায় থাকবে না। পরিষ্কার ডেডলাইন বলে দিচ্ছি, আগামী ৭ জানুয়ারির পর যদি কাউকে পাওয়া যায় তাহলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হবে।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যানের বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন হুশিয়ারি দেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি নানক।নানক বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচন।ভোটারদের নির্বাচনে দলবেঁধে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদানের আহ্বানও জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোট প্রদানের মাধ্যমে পরিষ্কার জানিয়ে দেবেন আমরাই আমাদের সরকার গঠন করার মালিক। এই দেশের জনগণই যথেষ্ট এদেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।আমরা কোন শক্তির কাছে মাথা নত করবো না। আমরা কোন বহিঃশক্তির কাছে মাথা নত করবো না। কোন বহিঃশক্তির রক্তচক্ষু আমরা মেনে নেব না বলেও অবহিত করেন তিনি। নানক বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে স্বাধীনতা অর্জন করি নাই। আমরা বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দুই লাখ মা-বোন তাদের পবিত্র সতীত্ব বিকিয়ে দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। কাজেই কারো হস্তক্ষেপ আমরা আমাদের দেশে করতে দেব না।ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে নতুন কোন মানুষ নই। আমি ২০০৮ সাল থেকে দশ বছর এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আপনারা আমাকে বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বস্ব দিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে।তিনি আরও বলেন, যে মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল, আমি সেই সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করেছিলাম। যে মোহাম্মদপুর চাঁদাবাজ আর মাদককারবারীদের স্বর্গরাজ্য ছিল আমি তাদের বিতাড়িত করেছিলাম। ৫ বছর আমি ছিলাম না। এখন দেখা দিয়েছি কি? কিশোর গ্যাং। আমি কোন কিশোর গ্যাং বড় গ্যাং মাঝারি গ্যাং কোন গ্যাং এই এলাকায় থাকতে দেব না।কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদেরকে পরিষ্কার ডেডলাইন বলে দিচ্ছি, আগামী ৭ জানুয়ারির পর যদি কাউকে পাওয়া যায় তাদের হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হবে। আপনারা এলাকাবাসী আমার সঙ্গে থাকবেন। আপনারা রাতে বাসাবাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন। আর আমি রাতে আপনাদের রাস্তাঘাট পাহারা দেব। কে কত বড় সন্ত্রাসী, কে কত চাঁদাবাজ, কারা কত কিশোর গ্যাং আপনাদের সাথে নিয়ে মোকাবিলা করবো।প্রায় ১০ হাজার ভোটার সম্বলিত হাউজিং সোসাইটির সুধিসমাজের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, পানির পাম্প নির্মাণ, খেলার মাঠ, চাঁদাবাজ সন্ত্রাস নির্মূলসহ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের অবসান কামনা করা হয়।মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদ উদ্যান হাউজিং বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলম হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভুঁইয়া, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল সিদ্দিকী তুহিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদসহ বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির নেতারা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700204,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,"সংঘাত চাই না, যাকে খুশি ভোট দেন","দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার- এমন মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না। যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোটটা অনেক জরুরি। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এসেই লুটপাট ও দুর্নীতি শুরু করে। বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে ভোটের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্ত জরুরি। কেননা, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকেই অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। এদেশের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকে, আমাদের সেই চেষ্টাই করতে হবে।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা দেশে একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আর বিএনপি চায় কারচুপির নির্বাচন। জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া। থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের তাতেও শিক্ষা হয়নি। তাই আবারও ২০০১ সালে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে দেন। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700119,ভোরের কাগজ,০২ জানুয়ারি ২০২৪,তুমি শুধু ছক্কা মেরে দিয়ে উইকেট ফেলে দিও,"ফরিদপুরের নির্বাচনী জনসভায় নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে মাগুরা-১ আসনে দলীয় প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট রত্ন হিসেবে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের জনসভায় তিনি প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।এসময় সাকিব আল হাসানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটা রত্ন আছে, ক্রিকেট রত্ন সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ আসনে তাকে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। এবারের ইলেকশনে তুমি শুধু ছক্কা মেরে দিও। সে বলেছে ভাষণ দিতে পারে না। আমি বলবো তোমাকে কোনো ভাষণ দিতে হবে না। শুধু বলবে তুমি ব্যাট হাতে ছক্কা মারতে পারো, আর বল হাতে উইকেট ফেলে দেবে। এতেই হবে।",Positive নেত্রীর নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে 'স্মার্ট ঢাকা' বিনির্মাণে কাজ করবো,ভোরের কাগজ,০৩ জানুয়ারি ২০২৪,নেত্রীর নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে 'স্মার্ট ঢাকা' বিনির্মাণে কাজ করবো,"জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পুরান ঢাকাকে নতুন করে 'স্মার্ট ঢাকা' বিনির্মাণে কাজ করবো।বুধবার (৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার ওয়ারীতে নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।পুরান ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচিত হতে পারলে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নিবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমি পুরান ঢাকার সমস্যা দূর করে একটি স্মার্ট ঢাকা বিনির্মাণের জন্য কাজ করবো।তিনি বলেন, আমি মেয়র থাকা অবস্থার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এবার আমাকে জনগণ নির্বাচিত করলে আমি পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে গড়ার জন্য কাজ করবো। এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ হবে। এক সময় টোকিও বা সিঙ্গাপুর সিটি পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছিলো। প্লান করে এটাকে উন্নয়ন করা হয়েছে। আমরাও এরকম একটা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি। জনগণ ভোট দিতে যাবে কিনা এবং জনগণের কি রকম সাড়া পাচ্ছেন? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, যখন থেকে প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রায় এক মাস যাবত আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার নেত্রীর সালাম পৌঁছে দিয়েছি এবং ভোট প্রার্থনা করছি। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। প্রচারণায় গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগামী ৭ জানুয়ারি এই এলাকার মানুষ ভোট দিতে আসবে এবং নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে আমরা নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700480,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,"নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন, পাশেই আছি: আইজিপি","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশজুড়ে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আপনারা নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো আমরা।শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলিরোডে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি বলেন, আগামীকাল রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ভোটের আগের রাত থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছে।আগামীকাল সব নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রে আসবেন। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ-আনসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসন মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করবো। আশা করি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবো।তিনি বলেন, মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, রিজার্ভ ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড, র‍্যাবের হেলিকপ্টারসহ সব জনবল নিয়ে পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করি নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে যে কোন নাশকতা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতাকারীর তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। তথ্যের গুরুত্বঅনুসারে সেই পুরস্কারের অর্থ ২-৩ লাখও হতে পারে। তবে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রেখে, নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতোপূর্বে গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে, কারা ঘটিয়েছে আপনাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার। আমরা মাগুরাতে একজন ধরেছি, তার মোবাইল থেকে জানা গেছে, তাদের নির্দেশনা রয়েছে সারাদেশে পটকা, ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নাশকতাকারীর সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, কিছু প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, সেগুলো প্রতিহত করা হয়েছে।ভোটকেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টা হোক বা বাধাগ্রস্ত করা হোক, অথবা প্রার্থীরা নিজেরা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে কারও কাছে কোন তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি ইউনিটের মোবাইল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে।ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। সকল ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অক্ষুণ্ণ রাখতে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, সমস্যা হলে আমাদের জানান। আমরা বাংলাদেশ পুলিশ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কিছু আসামি গ্রেপ্তার করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছিনা, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ধারনা পরিষ্কার করার চেষ্টা করবো।আমরা এখনো তদন্ত করছি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ট্রেনের ভেতর থেকে আগুন লাগানো হয়েছে। তবে যখন নিশ্চিত হবো, তখন আমরা সকল তথ্য জানাবো।ট্রেনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা সবগুলো ট্রেনে স্থাপন করছি। বেনাপোল এক্সপ্রেসে এখনো স্থাপন করা হয়নি। এটি স্থাপন করতে সময় লাগে, আমরা এখনো সবগুলা শেষ করতে পারিনি।তেজগাঁও ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি। যখন পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাবো আপনাদের জানাবো। গাজীপুরের তথ্য যখন পেয়েছি, সবাইকে অবহিত করেছি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তার ঘাটতি ছিলোনা। দুষ্কৃতিকারীরা কাউকে জানিয়ে কিছু করেনা। হঠাত করে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, যখনই এমন ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পাবো ব্যবস্থা নিবো। তবে দেশব্যাপী বড় ধরনের নাশকতার কোন সক্ষমতা নেই।আগামীকাল কোন নাশকতার হুমকি আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো এমন কোন আশঙ্কা করছিনা। সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুস্তৃতিকারীরা ৮-৯ টা কেন্দ্রে হয়তো নাশকতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু করার সাহস পায়না। দেশবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত। দেশবাসীর সহায়তায় সকল ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয় তৈরি থাকবে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আমরা সহায়তা করছি মাত্র। আমরা আমাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেভাবে দরকার সেভাবে পালন করবো।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700482,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,ভোট উৎসব দেখতে মুখিয়ে বিদেশীরা,"বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশীদের বহু ‘কিন্তু’ ছিলো। অথচ রাত পোহালে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোট। এ কর্মযজ্ঞ দেখতে ইতোমধ্যেই দেশে এসেছেন ২০২ জন বিদেশী পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক। তারা বাংলাদেশে আসার জন্য নিবন্ধন করলেও পৌঁছেছেন ১০৯ জন। এদের মধ্যে বিদেশী পর্যবেক্ষক রয়েছেন ৭৭ জন (নিবন্ধন করেছিলেন ১২৬ জন) এবং ৩২ জন বিদেশী পত্রিকার সাংবাদিক (নিবন্ধন করেছিলেন ৭৬ জন)। এই সাংবাদিকরা বিশ্বের নামীদামী গণমাধ্যমে কর্মরত। রবিবারের (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ কতটা প্রাণবন্ত উৎসবমুখর হয় তা দেখতে তারা মুখিয়ে আছেন।রবিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সারাদিন বিভিন্ন কেন্দ্রে তারা কেমন ভোট দেখলেন তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএনপি এই ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭১ দিনে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করে ও ৩০৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। এরমধ্যে ৩০৪টি যানবাহন ও ২৪টি স্থাপনা পুড়ানো হয়। তবে ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ১৩৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুই জনসহ আহত হয়েছে ৫ জন। এমন নাশকতা উপেক্ষা করেই রবিবার ভোট হবে।কূটনীতিকরা বলেছেন, বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে যেভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে এবং চলমান ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থানে আছে তাতে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি বিদেশিদের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে।পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচনের প্রতি সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের যে প্রত্যাশা করেছে সেটাও আমরাও করি। একাধিকবার আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। আশা করি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা ৩ সদস্যের একটি দলের প্রধান আন্দ্রে সুটভ বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করা বাংলাদেশের দায়িত্ব। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমন ভুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্স বার্তায় বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে চারদিকে দমনমূলক কর্মকাণ্ড থাকায় আমি বিরক্ত। নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।নির্বাচনের আগে গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারিয়া মাসদুপুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্স বার্তায় বলেন, অনাকাঙ্খিতভাবে সহিংসতা আগেই শুরু হয়েছে। সর্বত্রই নাশকতা বিরাজ করছে।ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি বন্ধুদের আগ্রহ রয়েছে। বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর এই আগ্রহের পেছনে তাদের নিজেদের স্বার্থ কাজ করছে। এই নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো গত দুই বছর ধরে কমবেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন না হলে দেশটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে দুইবার ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যকে সমর্থন করতে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) (‘থ্রিসি’) এর অধীনে বাংলাদেশের ওপর গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে জানায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত নভেম্বরে পশ্চিমের এই দেশটি নির্বাচনের আগে সবগুলো রাজনৈতিকদলের মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানায়। সর্বশেষ বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে নতুন স্মারকপত্র প্রকাশের পর গত নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের কথা উল্লেখ করেন।নির্বাচনের আগে ভ্রমণ সতর্কতায় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সেদিন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত হবে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন যদিও শান্তিপূর্ণ হবে বলেই আয়োজন করা হয়েছে। তবে তা সহিংসতায় রূপও নিতে পারে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন বা পরের দিন বা সপ্তাহগুলোতে সামান্য বা কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়ে বিদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিশ্বাস করে। যারা এক্ষেত্রে বাধা দেবে তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করবে। আমরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছি না। আমরা জানি না, কারা আগুন দিচ্ছে, মানুষকে হত্যা করছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছি। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই।এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর বাংলাদেশের ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তাছাড়া এশিয়ার বৃহৎ দুই পরা শক্তি চীন ও ভারত এই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সবসময়েই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি, দেশটির নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। কূটনীতিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিং শেষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ইস্যুতে বলেন, আমি মনে করি এটা সফল ও নির্ঝঞ্ঝাট নির্বাচন হবে। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও মাইলফলক হবে।একই ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার বলেন, শুরু থেকে আমার অনুধাবন যে তারা (নির্বাচন কমিশন) খুবই এবং সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, তারা বেশ গুরুত্ব সহকারে কঠোর পরিশ্রম করছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700481,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন প্রতি খরচ ৭ কোটি,"আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১২তম সাধারণ নির্বাচন এটি। এই নির্বাচন আয়োজনে সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই হিসেবে আসনপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ৭ কোটি টাকারও বেশি।শনিবার (৬ জানুয়ারি) ইসির এক সূত্রে এ তথ্য জানা জানা গেছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে বরাদ্দের চাহিদা বেড়ে সবমিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।ইসি কর্মকর্তারা আরো জানান, এবারের নির্বাচনে তিন হাজারের মতো ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা ও মোতায়েনের সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।সারা দেশে এবারের নির্বাচনে আনসার সদস্য থাকছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার জন। পুলিশ ও র‌্যাব থাকছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য থাকছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকছেন প্রায় অর্ধলাখ। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবার চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার থাকছে। এ ছাড়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং ইসি সচিবালয় ও প্রশিক্ষণেও বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে।উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরে তা বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে, দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, নবম সংসদ নির্বাচনে ১৬৫ কোটি টাকা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা, সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে ৩৭ কোটি টাকা, পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা, তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। আর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে মোট ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700468,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার উদাত্ত আহ্বান,"জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবার জন্য দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোট গ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী ও ভোটার সাধারণকে নির্বাচন বিষয়ক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে আরোপিত দায়িত্বপালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ ভোটকেন্দ্রসমূহের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি।সিইসি বলেন, অনস্বীকার্য যে, নির্বাচন প্রশ্নে, রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ রয়েছে। মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় নাশকতা ও সহিংসতা একেবারেই হচ্ছে না তা বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। নির্দোষ, নিরীহ, নিষ্পাপ শিশু, নারী-পুরুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। চলমান এহেন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও অবসান প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। আজকে না হলেও ভবিষ্যতের জন্য। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধসমৃদ্ধ আবেগ ও চেতনা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সংবিধানে দেশের জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। রাত পোহালে আজ বাদে কালই সেই নির্বাচন। ২২ মাস পূর্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। আগ্রহী সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশিজনের সাথে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামত শুনেছি। সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকেও সংলাপে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণে তারা সাড়া দেননি। নির্বাচনের লক্ষে আমরা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছি।আপনারা জানেন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণত: পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। প্রজাতন্ত্র বিধায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার অনিবার্য আবশ্যকতা রয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের সহায়তা নিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বারংবার ব্যক্ত করেছে। কমিশনও তার আয়ত্বে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সকল সহায়তা গ্রহণ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি বারংবার ব্যক্ত করেছে।সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সমন্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ-সাধন হয়। কিন্তু নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত মত-বিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সেরকম রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। নির্বাচনী সার্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮ টি দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। সর্বমোট ১৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না। বিশ্বাস করি আলাপ-আলোচনা ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হয়ে যে কোনো রাজনৈতিক সংকটের নিরসন সম্ভব। নির্বাচন বর্জনকারী দলসমূহ সহিংস পন্থা পরিহার করে কেবল শান্তিপূর্ণ পন্য়থা জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাবে মর্মে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এতে জনমনে আশার সঞ্চারিত হয়েছিল। ঘোষিত হরতাল অবরোধের মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দৃশ্যমান হয়েছে। ট্রেন, যানবাহন, নির্বাচন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা দায়ী সেটি আমাদের বিবেচ্য নয়। তবে নাশকতা ও সহিংসতার কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তারপরও অলংঘনীয় সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে জনগণকে অনুরোধ করছি আপনারা সকল উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মূল্যবান নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন।প্রিয় দেশবাসীএবারে দেশে মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২,০০০। মোট ২,৬২,০০০ বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৮ লক্ষ সরকারী কর্মচারী ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। প্রায় ৩০০০ নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রের পাশাপাশি, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লক্ষাধিক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ। আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে নমিনেশন দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যবস্থাটি আগামীতেও বহাল থাকবে। সর্বশেষ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটার সাধারণ ও সর্বসাধারণের জন্য দিনব্যাপী কেন্দ্র ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের সুবিধাসম্বলিত দুটি ডিজিটাল অ্যাপস কমিশন সম্প্রতি চালু করেছে। দৃশ্যমানতার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তোলা গেলে নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা জনমনে আস্থার সৃষ্টিতে তা সহায়ক হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় ২৩০০০ দেশি এবং প্রায় ২০০ বিদেশি পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি ও বিদেশি সংবাদকর্মীও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং চিত্র ও তথ্য সংগ্রহে মাঠে অবস্থান করবেন।সিইসি আবারো ভোটারদের প্রতি বলেন, সম্মানিত সকল ভোটারকে পরিশেষে আমি আরেকবার আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা আগামীকাল অনুষ্ঠেয় দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গমনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, ট্রাক ব্যতীত অন্য সকল প্রকার যানবাহন উন্মুক্ত থাকবে। ভোট আপনার। ভোট প্রদানে কারো হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে কোনো মূল্যে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনতঃ দায়িত্ব পালনে বাধ্য। প্রিজাইডিং অফিসারকে সহায়তা করতে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিকটেই অবস্থান করবেন।প্রার্থীদের প্রতি তিনি বলেন, নির্বাচনের অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী, সৎ, দক্ষ ও অনুগত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নিজ নিজ অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা কার্যত: আপনাদেরকেই করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোলিং এজেন্ট না থাকলে সম্ভাব্য ভোট কারচুপি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা সৎ, নিরপেক্ষ ও অবিচল থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যথা হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের বিশ্বাস স্ব স্ব অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল আচরণ ও আবশ্যক আইনানুগ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। দেশের জনশাসনে জনগণের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র সুসংহত হবে। সংসদ, সরকার ও সংবিধানের কাঙ্খিত ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700433,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শেখ হাসিনা,"ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে ভোট দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়‌ও রবিবার সকালে মায়ের সঙ্গে সিটি কলেজে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। অপরদিকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভোট দেবেন নোয়াখালীর বসুরহাটে।দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবার সকাল ৮টার পর পরই ঢাকা সিটি কলেজ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজ এলাকা বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুরে উদয়ন ফ্রি ক্যাডেট একাডেমিতে ভোট দেবেন। এছাড়া দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700462,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,চট্টগ্রাম রেঞ্জের পাঁচ জেলায় ৩৮০৪০ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন,"আনসার ও ভিডিপি চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিচালক সাইফুল্যাহ রাসেল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পাঁচটি জেলায় ৩ হাজার ১৭০টি ভোটকেন্দ্রে ৩৮ হাজার ৪০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যরা দুই স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দুই স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে চট্টগ্রাম রেঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ৩১ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক নাজমুল হক নবী, চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এ এইচ এম সাইফুল্লাহ্ হাবিব, ও উপ-পরিচালক সোনিয়া বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।তিনি বলেন, এছাড়া চট্টগ্রাম রেঞ্জের অধীন পাচঁটি জেলায় ২১ প্লাটুন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ব্যাটালিয়ন আনসারের ৬৭২ সদস্যরা রিটার্নিং অফিসারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৮৪টি সেকশনে বিভক্ত হয়ে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনী সামগ্রী, ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের নিরাপত্তা বিধান এবং ভোটাধিকার সুষ্ঠু ও নিরবছিন্ন রাখার জন্য বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সমাপ্ত করার লক্ষ্যে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বদ্ধ পরিকর।আনসারের উপ-মহাপরিচালক আরো বলেন, স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঐতিহাসিকভাবে সদা-সর্বদা নিবেদিত। আমি আশা করি একটি স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিটি আনসার-ভিডিপি সদস্য তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।সারাদেশে প্রায় ৪২,১৪৯ টি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোট ৫,০৫,৭৮৮ (পাঁচলক্ষ পাঁচ হাজার সাতশত আটাশি জন) জন আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তন্মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন পিসি, এপিসি (অস্ত্রসহ), ৬ জন আনসার-ভিডিপি (পুরুষ) এবং ৪ জন আনসার-ভিডিপি (মহিলা) সহ মোট ১২ জন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের পাঁচটি জেলায় ৩১৭০টি ভোটকেন্দ্রে ৩৮ হাজার ৪০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে ৮ হাজার ৫০০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য ২৫০টি প্লাটুন এবং ১ হাজারটি সেকশনে বিভক্ত হয়ে মোবাইল/স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সারাদেশে মোতায়েন রয়েছে, যারা ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ১৩ দিন ব্যাপী নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700218,ভোরের কাগজ,০3 জানুয়ারি ২০২৪,শুক্র ও শনিবার খোলা থাকছে ব্যাংক,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেয়া এক প্রেস বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশে নির্বাচনের ঠিক ২ দিন আগে এ বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে ৭ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচন হতে চললেও ওইদিন ‘একটি অনুকূল পরিবেশে নাগরিকদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে’ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে।বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়- কমনওয়েলথ মহাসচিবের এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে হতবাক করেছে। যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রহসনমূলক ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিস করেছেন। তার বক্তব্য বাংলাদেশের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা বিশ্বাস করি, তার বক্তব্য গণতন্ত্রপন্থি বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।বিএনপির দাবি, প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে, বাংলাদেশের সব প্রধান গণতন্ত্রপন্থি রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচন বয়কট করেছে। শুধু ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ডামি/স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদ নিয়ে ভুয়া বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়। যেহেতু নির্বাচনের ফল ইতোমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এবং জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্য থেকে বেছে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। কোনো অনুকূল পরিবেশ এবং সমান খেলার সুযোগ নেই, ভোটাররাও একতরফা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। শাসকদল এখন ভোটকেন্দ্রে জনগণের উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ভোটার বা ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানো যায়।বলা হয়, এ ধরনের কাল্পনিক গল্পগুলো স্থানীয় মিডিয়া (সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও), সোশ্যাল মিডিয়া এবং খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া দ্বারা ভালোভাবে কভার করা হয়েছে। তবে কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত যে, গত ৩ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্বিচারে ব্যাপক গ্রেপ্তারের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও ভয়ের অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগে কারাগারে বন্দি বিএনপির মহাসচিব ও এর শীর্ষ নেতাসহ ২৭ হাজারের বেশি বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বী নেতাকর্মী। পুলিশ হেফাজতে অসংখ্য মানুষ নিহত, নির্যাতন ও মারা গেছেন।বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার যারা আইনের শাসন এবং উদার মূল্যবোধে বিশ্বাসী তারাও বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।অন্যদিকে, সব গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে বাধ্য করে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে এবং ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডামি ভোটারদের দ্বারা একটি মঞ্চস্থ নির্বাচনের পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা করছে। এটি একটি ভুয়া নির্বাচন।আরো বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি কমনওয়েলথের অঙ্গীকার স্বীকার করে। কমনওয়েলথের মহাসচিব যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করতে চান, যেমন তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, জনগণ তার কাছে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও প্রশাসনের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে। কিন্তু তার বক্তব্য বাস্তবতার সংস্পর্শের বাইরে, কারণ ৭ জানুয়ারি এ প্রহসনমূলক অনুশীলনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার অনুচ্ছেদ ২১ এবং ২১-এর অধীনে কোনো মানদণ্ডের নির্বাচন হিসাবে স্বীকৃত বা আখ্যায়িত হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও পূরণ করে না।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700232,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলটির সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে ১১ দেশের ৮০ পর্যবেক্ষক আসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা আগে থেকেই ঢাকায় আছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জন বিদেশি সংবাদকর্মী এসেছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে। যেখানে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন দেখছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে তাদের অবস্থান দৃশ্যমান।এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700280,ভোরের কাগজ,০4 জানুয়ারি ২০২৪,ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের মাঝেও আকর্ষণীয় করতে হবে,"ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের মাঝেও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। ছাত্রলীগের সভায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি বাকি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও থাকবে নাহলে এটা 'মিনিং লেস' হবে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘ভোট উৎসবের জন্য’, ‘নৌকার জন্য’, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য’, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য’ শীর্ষক সমাবেশ ও শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে তিনি এই কথা বলেন। স্মার্ট মানেই শুধু ভাষণ দেয়া নয়। বক্তব্য প্রদানকালে গতানুগতিকভকবে ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ধারাবাহিক সালভিত্তিক বর্ণনা করলে এটা এখন আর কেউ শোনো না। বক্তব্য প্রদানকালে বুঝতে হয় চোখ ও মনের ভাষা। এই বিষয়টা বুঝতে পারলে মন কথা শুনতে চাবে ও পছন্দ করবে। যেই কথা বলবে সেই নেতৃত্ব দেবে এবং কর্তৃত্ব করবে সেটাই হোক অঙ্গিকার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা হবে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় খেলা হবে। খেলা হবে লুটপাটের বিপক্ষে, বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এসময় তিনি দুর্নীতিবাজদের সাবধান করে দেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা, তাদের ৩২ দল, মানববন্ধন, পদযাত্রা এবং বর্তমানে তাদের অবরোধ সবই ভুয়া। তাদের অবরোধের কোনো কিছুই পাবলিক মানে না। আজ বিএনপি কোথায়? তারা কোথায় পালিয়েছে? পালিয়েছে কেন? তারা খেলার মাঠে ফাউল করে লাল কার্ড পায়। তারা এখন বোমা মারবে। তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে বোমা মেরে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।বিএনপি আটলান্টিকের ওপার থেকে নিষেধাজ্ঞা আসবে সেই অপেক্ষায় আছে। শেখ হাসিনা ভিসানীতির কোনো তোয়াক্কা করেনা। আটলান্টিকের ওপারে নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পায় না শেখ হাসিনা। তিনি বাংলার জনগণকে ভালোবাসেন। কোনো বিদেশি শক্তিকে পরোয়া করেননা ৷ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ছাত্রসমাজ রায় দিয়েছে উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের ইশতেহার। বাংলাদেশে বর্তমানে সাত কোটির বেশি কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে। শেখ হাসিনা তার ইশতেহারে আগামী ২০৩০ সালের আগে আরো দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরির নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বাংলাদেশের কয়েক লাখ তরুণ জনগণের জন্য ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। তরুণদের স্বপ্ন শেখ হাসিনার কাছে নিরাপদ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমিক দেশ হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামীতে আমাদের তরুণেরা হবে বিলিয়ন ডলারের উদ্যোক্তা। স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণেরাই আগামীতে গুগল, মাইক্রোসফট, টেসলা কিংবা চ্যাটজিপিটির মতো প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মফস্বল থেকে বড় হওয়া তরুণই হয়তো ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়াবে। ভবিষ্যতে মহাকাশযানের গায়ে লেখা থাকবে 'বিজয় উনিশশো একাত্তর'। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আরো আধুনিক ও সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশ জঙ্গিদের ক্লাবের পরিবর্তে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হবে। বাংলাদেশের তরুণদের প্রস্তুতকৃত পণ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' নামে। এজন্য তরুণদের নৌকার পক্ষে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মাইনুদ্দীন হাসান চৌধুরী, মো: সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, অজয় কর খোকন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, মো:গোলাম রাব্বানী ও লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বর্তমান সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু প্রমুখ।সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশের পর টিএসসি হয়ে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন এরপরে কাকরাইল থেকে নাঈটিঙ্গেল মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে গুলিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে, সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপরে সকাল ৮টায় ঢাবির কার্জন হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এছাড়া সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।বক্তব্য প্রদানকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির বাইরেও সাধারণ ছেলে মেয়েদের বুঝাতে হবে ভালো লোকদের হাতে এই দেশের নেতৃত্ব থাকলে দেশ ভালো থাকবে। আর নেতৃত্ব যদি খারাপ লোকদের থাকে, ভালো লোকেরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মূলহীন হবে। রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে নাহলে রাজনীতি মেধাশুন্য হবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে আসতে হবে নাহলে চরিত্রহীনদের হাতে রাজনীতির নেতৃত্ব চলে যাবে। তরুণদের নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তরুণদের রুটিন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। দিনের কখন কি করতে হবে সেটা গুছিয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭৬টি অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়াশোনা করার আহ্বান জানান তিনি। রাত পর্যন্ত আড্ডা কমিয়ে দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। নেতাকর্মীদের নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করে চিরতরে বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাতে হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700279,ভোরের কাগজ,০4 জানুয়ারি ২০২৪,নারায়ণগঞ্জের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী,"আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভায় পৌঁছান তিনি। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে দুপুরের মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় ভরে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়। আশপাশের এলাকায়ও হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। নানান রঙের ব্যানার ও ফেস্টুনসহ রঙিন পোশাক পরে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জনসভা শুরুর আগে বলেন, দীর্ঘদিন পর নেত্রী নারায়ণগঞ্জ শহরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। নেত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা অনেক বেশি আনন্দিত, অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত।সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700283,ভোরের কাগজ,০4 জানুয়ারি ২০২৪,রাজধানীর হার্ট ঢাকা-৮ আসন হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল,"ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী হলো ঢাকা এবং ঢাকার হার্ট হচ্ছে ঢাকা-৮ আসন। এ ঢাকা-৮ আসনকে জনগণকে সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-৮ আসনের অন্তর্গত মতিঝিলে গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নাছিম বলেন, ঢাকা-৮ আসনটি পল্টন, মতিঝিল, শাহাবাগ, রমনা ও শাহজাহানপুর থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনে রয়েছে বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সচিবালয়, হাইকোর্ট, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, কাকরাইল, নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শহীদ মিনার, জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম, কমলাপুর রেল স্টেশন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাজধানী ঢাকার হার্ট হচ্ছে ঢাকা-৮ আসন। এই আসনকে স্মার্ট করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, ঢাকা-৮ আসনের নাগরিকদের কিছু অসুবিধা রয়েছে। গ্যাস, পানিসহ নানা বিষয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে তাদের জন্য কাজ করব। আমি চেষ্টা করব এ এলাকা পরিষ্কার, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকে তার জন্য আমি চেষ্টা করব। কোন প্রকার দুর্নীতিকে আমরা ছাড় দিব না। আমায় একটু সময় দিলে আমি তাদের সকল সমস্যা দূর করব ইনশাল্লাহ। নাছিম বলেন, জাতীয় সংসদের ১৮১ তম আসন হল ঢাকা-৮ আসন। এ আসনে বর্তমান ভোটার সংখ্যা হলো ২,৭০,৬৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৫১,৯৩৮ জন ও নারী ভোটার ১,১৮,৭১১ জন এবং হিজড়া ভোটার ১জন। এ আসনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১০ টি। ভোটকে কেন্দ্র করে সকলের মধ্যে একটি উৎসবের আমেজ কাজ করছে। তাই সবাইকে বলব সকল অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে এসে আপনার মূল্যবান ভোটটি প্রদান করুন। এটি সকলের প্রতি আমার আহ্বান। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। তারা সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আর চায় না। বিএনপি-জামাত হলো সাম্প্রদায়িক শক্তি। এরা জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। এই অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যোগ্য নেতা হলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তাকে ভোট দিয়ে আবারো প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় পশ্চিম শান্তিবাগ এলাকায় গণসংযোগ দিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম তার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি নটরডেম কলেজের প্রিন্সিপাল ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিওর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং নটরডেম কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে তিনি মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাঙ্গণ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শ্রমিক কর্মচারী জমায়েত ও নির্বাচনী প্রচারণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি. এস.সি অডিটোরিয়ামে মত বিনিময় সভা, মতিঝিল টিএন্ডটি স্কুল ও কলেজ মাঠে জনসভা ও বুয়েট এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে গণসংযোগ, পুরানা পল্টন প্রতিবেশী নিরাপত্তা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700492,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী,"সারাদেশে রবিবার (৭ জানুয়ারি) একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন, সকাল ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে। ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। বাইরের পরিবেশের পাশাপাশি ভিতরে পরিবেশও ভালো। ভিতরে তিনজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আছেন। বেলা বাড়ার পাশাপাশি হয়তো এজেন্ট আরো বাড়বে। জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই এ বিষয়ে বলা যাবে না। ভোট শেষ হোক।এদিকে, সাবের হোসেন চৌধুরীর পরপরই সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও স্কুল এন্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন সাবের হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী রেহানা চৌধুরী এবং হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন সাবের হোসেন চৌধুরীর মেয়ে রাইমা চৌধুরী। রেহানা চৌধুরী ভোট দিয়ে বলেন, আমার কাছে বাইরের পরিবেশটা দেখে মনে হয়েছে, উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল হতে না হতে এখানে বেশ কিছু ভোটারের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে।উল্লেখ্য, সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700496,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন বাহাউদ্দিন নাছিম,"এদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে আবুজরগিফারী কলেজে ভোট পরিদর্শন করতে আসেন ঢাকা-৮ আসনের নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।‌ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।‌ শতবর্ষী শিরিয়া বেগমের শারীরিক খোঁজখবর নেন তিনি। এরপর বুথকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চান।‌ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছি। অনেক বয়স্করা এসেছেন। তরুণদের আগ্রহ বেশি। তারা বলছেন, জীবনের প্রথম ভোট দিলাম। মানুষের আগ্রহ সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিকে না বলাই তাদের এই ভোট। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। গত ১৫ বছরের উপহার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। ১৫ বছরের আন্দোলন সন্ত্রাস নৈরাজ্যের। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই। এজন্য তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে অংশ নেয় না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তারা বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নয়ন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700498,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,শতভাগ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশা,"ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভোট দিয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজে সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোট দেন তিনি। ভোট দেয়া শেষে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাংবাদিকদের বলেন, ভোট দিলাম, এই এলাকার মানুষ আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। আশা করছি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ থাকবে এবং আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো। আপনার লোকেরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ বিষয়ে কি বলবেন? লিখিল বলেন, এই ঘটনা সত্যি নয়। কারণ, আমার কর্মী এজেন্টদের এ ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। আপনার দলের অনেকেই আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের প্রতি কি বলবেন, আমরা এমন কিছু করবো না যাতে প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কলঙ্কিত হয়। নিজ কেন্দ্রর ভোটার উপস্থিতি কম কেনো? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, এখন তো মাত্র সকাল, আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা আসবেন। তারা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে জানান দেবেন তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতোটা আস্থাশীল। এর আগে, ভোর ৭ টায় বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের মূল ফটকের সামনে কিছু ভোটারকে কেন্দ্রে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই কেন্দ্রে ভোটের দীর্ঘ লাইন না থাকলেও বিচ্ছিন্ন ভাবে ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন। বিশেষ করে নতুন ভোটার যারা আছেন, তাদের মধ্যে ভোট দানে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, মূল ভবনের দোতালায় প্রিজাইডিং অফিসার মো. মামুনুর ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সকাল ৮টা বাজতেই কেন্দ্রের ৪ টি বুথে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। প্রতিটি ভোট দিতে তিন থেকে চার মিনিট সময় নিচ্ছেন সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। কেন্দ্রর ৩ নম্বর বুথের প্রিজাইডিং অফিসার সোহেল রানা বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই ভোট নিচ্ছি, বয়স্ক ভোটা যারা আছেন, তাদের মূল ফটক থেকে প্রার্থীর এজেন্টরা গিয়ে নিয়ে আসছেন। ভোটারদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সকাল বেলা ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রটির ১নম্বর বুথে প্রথম ভোট দেন বাকের মিয়া। ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভালে ভোট হয়েছে, কোনো অসুবিধাই হয়নি; ভেতরে যারা আছেন তারা দিয়েছেন সবকিছু। কথা হয় নতুন ভোটার মিলির সঙ্গে, বোট দিয়ে কেমন লাগলো জানতে চাইলে খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে মিলি বললেন, খুব, খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই এক্সাইটেড, আশা করছি আমার পছন্দের প্রার্থী যাকে আমি ভোট দিয়েছি তিনিই জয়ী হবেন। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৮ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৪ আসন গঠিত। আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৯; নারী ভোটার ২ লাখ চার হাজার ৭৪৪ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪ জন।নির্বাচনে সংসদীয় আসন বাগাতে প্রার্থিতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল (নৌকা), জাতীয় পার্টির আলমাস উদ্দিন (লাঙ্গল), জাসদের আবু হানিফ (মশাল), তৃণমূল বিএনপির নাজমুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), বিএনএফের কামরুল ইসলাম (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহবুব মোড়ল (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ (একতারা), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আসিফ হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন (ট্রাক), লুৎফর রহমান (কেটলি), জেড আই রাসেল (ঈগল), এমরুল কায়েস খান (রকেট), মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ (দালান) ও কাজী ফরিদুল হক (বাঁশি)।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700517,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে: কামরুল ইসলাম,"ঢাকা-২ আসনের কেরানীগঞ্জে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে যে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।ঢাকা-২ আসনে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। যেটি সাভার, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে কামরাঙ্গীচরেই এক লাখ ৭৬ হাজার ভোটার রয়েছে। কামরাঙ্গীচরের ক্যামব্রিজ স্কুল কেন্দ্রে সাড়ে ১০ হাজারের ওপর ভোটার রয়েছে। ওই কেন্দ্রের ভোটাররা বলছেন, এখানে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবী। এখন যে উপস্থিতি, সেটি ক্রমেই বাড়বে।সকালে ভোট দিতে এসে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। যেহেতু শীতের সকাল। কিছুক্ষণ পর ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে। ভোটের দিন রবিবার সকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। শীতের সকাল কিছুক্ষণ পর ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে। কোনো ধরনের সহিংসতা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একেবারেই শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। খুব সুন্দর ভোট হচ্ছে। স্মুথলি সবাই ভোট উৎসব করছে, লাইন ধরে ভোট দিচ্ছে। যত সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ভোটারদের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700514,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,উত্তরায় বাড়ছে ভোটার উপস্থিতি,"সকাল থেকে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্ভুক্ত উত্তরা এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একদমই কম। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরার মালেকাবান আদর্শ বিদ্যানিকেতনের কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী জানান, একসঙ্গে আব্দুল্লাহপুরের বাসা থেকে তারা তিনজন এসেছেন। খুব সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। কেউ কোন বাধা সৃষ্টি করেননি।কুড়িল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথের কেটলি মার্কার পোলিং এজেন্ট রায়হান বলেন, সকালে ভোটার উপস্থিতি একদমই কম ছিল। এখন বাড়ছে। এই কেন্দ্রে দায়িত্বরত ভাটারা থানার এসআই শহিদ আহমেদ জানান, ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।এদিকে নির্বাচনে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট হতে পারে এমন 'কাল্পনিক' ধারণা করলেও সকাল থেকে এই পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান। সকালে ঢাকা-১৮ আসনের উত্তরা হাই স্কুল কেন্দ্র ঘুরে তিনি এই কথা জানান। ভোটারের উপস্থিতি জানতে চাইলে ইসি আহসান হাবীব বলেন, এখনো বলার মত সুযোগ হয় নাই। শীতের সকাল আর বিশেষ করে এই এলাকা একটু এলিট এলাকা। তাই তারা হয়তো ঘুম থেকে একটু দেরিতে ওঠে। আমরা মনে করি বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে।ভোটের পরিবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকটা কেন্দ্র ঘুরেছি। সেখানের পরিবেশ ছিল অভূতপূর্ব। খুবই সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে যাতে নির্বিঘ্নে, নির্দ্বিধায় ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে এবং ভোট প্রদান করতে পারে। আমি পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলেছি, প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলেছি। এত সুন্দর পরিবেশ দেখতে পেরে সবাই খুশি। তারা ভাবছে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেটা অতীতে দেখে নাই কেউ। নতুন প্রজন্মের জন্য এটা একটা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700513,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,গুলশান মডেল স্কুলে ভোট দিলেন আরাফাত,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নিজের ভোট দিতে সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান আরাফাত। এরপরে ভোট দেন তিনি।ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদে আসন নম্বর ১৯০। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জন। মোহাম্মদ এ আরাফাত ছাড়াও ঢাকা-১৭ আসনে আরো লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বি.এস.পি) থেকে একতারা মার্কায় লড়ছেন শাহ আলম, আম মার্কায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. গোলাম ফারুক মজনু, কুলা মার্কায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মো. আইনুল হক, সোনালী আঁশ মার্কায় তৃণমূল বিএনপির কাজী শফিউল বাশার, টেলিভিশন মার্কায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এস. এম. আবুল কালাম আজাদ ও বেলুন মার্কা নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700518,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিলেন মেয়র আতিক,"ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে।'তিনি বলেন, 'অগ্নি সন্ত্রাস যারা করছে তারা চায় না সাংবাদিকভাবে রাষ্ট্র চলুক। কিন্তু জনগণ চায়, প্রধানমন্ত্রী চায় এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠিত হবে। জনগণ যাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবে সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।'রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ট্রেনে অগ্নি সন্ত্রাসকে অমানবিক ও পৈশাচিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, 'অগ্নি সন্ত্রাস করে বাচ্চাদের হত্যা করা অমানুষিক। বিএনপি, জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা এখনো আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পেট্রোল মেরে, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে ভোটের ধারাকে ব্যহত করা যাবে না। জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।'মেয়র বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জনগণ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমি বলি নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার গিয়ার একটি সেটি হলো উন্নয়নের গিয়ার। আজ ভোটের দিন সবার মধ্যে ঈদের আনন্দের মতো উৎসব। পুরো শহরে পুলিশ বাহিনী নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সুন্দর আবহাওয়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন।'সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন হয়। ভোট দেয়া জনগণের নাগরিক অধিকার। খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো সবাই ভোট দিন, আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আমি বিশ্বাস করি এবছর ভোটের পার্সেন্টেজ বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে। শীতের সকাল তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।'",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700531,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,আমার ছেলে মন্ত্রী হবে: সাঈদ খোকনের মা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় পুরান ঢাকার বংশালের নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।এ সময় মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দেন তাঁর মা ফাতেমা হানিফসহ পরিবারের সদস্যরা। ভোট দেয়া শেষে নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতো বিনিময় করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও তাঁর মা ফাতেমা হানিফ। আপনার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিল। তখন তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদা পেয়েছিলেন। এবার মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সংসদ সদস্য বিজয়ী হলে মন্ত্রী হবেন বলে প্রত্যাশা করেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্ত্রী ফাতেমা হানিফ বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ চাহেতো আমার ছেলে বিজয়ী হবে।'এর আগে, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান তিনি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700584,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,সারাদেশের ভোটের সর্বশেষ ফলাফল,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। সারাদেশে ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। এর আগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফল নিচে দেয়া হলো-দল আসন সংখ্যাআওয়ামী লীগ (নৌকা) -১৭৮টিজাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) -৬টিস্বতন্ত্র-৫১টিঅন্যান্য-০০এদিকে, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে রয়েছে। বেশকিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভোট ঠেকাতে হরতাল ডেকেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। বাস-ট্রেনে আগুনে ঘটেছে মানুষের প্রাণহানি। এসব দলের ভোট বর্জনের মধ্যেই দেশের ২৯৯টি আসনে নির্বাচন শেষ হয়।জাতীয় সংসদে ২৯৯ আসনে ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন। তাদের ৬,০৫,৯২,১৯৭ জন পুরুষ; ৫,৮৭,৩৯,৮৮৯ জন নারী এবং ৮৪৮ জন হিজড়া। ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি ভোটকক্ষে নেয়া হয় ভোট।২৯৯ আসনে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন ১৯৬৯ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩২ জন দেশের ২৮টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী; বাকি ৪৩৭ জন স্বতন্ত্র। এছাড়া প্রার্থীর মৃত্যুতে পিছিয়ে যাওয়া নওগাঁ-২ আসনে প্রার্থী আছেন আরো দুজন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড ৯৭ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।২৯৯ আসনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬৫ জন (নৌকা ২৭১)। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ২৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের শরিক ওয়র্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপির ছয় জন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700591,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,বান্দরবান আসনে সপ্তমবারের মতো বিজয়ী বীর বাহাদুর উ‌শৈ‌সিং,"বান্দরবান আস‌নে সপ্তমবা‌রের মত নৌকার প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বা‌চিত হ‌য়ে‌ছে। র‌বিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বান্দরবান ৩০০ নং সংসদীয় আসনের সাত‌টি উপ‌জেলা ও দু‌টি পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮২ ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে শা‌ন্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষ হয়।এই আসনটিতে ১৮২টি কে‌ন্দ্রে ভোটের হার ৬১.৭২ শতাংশ ও সর্বশেষ ফলাফলে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং ভোট পে‌য়ে‌ছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী এটিএম শহিদুল ইসলাম পে‌য়ে‌ছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট পে‌য়েছেন। উল্লেখ্য, বান্দরবান ৩০০ নং সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩০ জন। তার মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন। আর পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৪ জন। ভোট কে‌ন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৮২‌টি সবগু‌লো কে‌ন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700597,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্যকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সূত্র জানায়, এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৪ টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।মতিয়া চৌধুরী সাবেক কৃষিমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারিতে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700595,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,"ফরহাদের হ্যাটট্রিক, নতুন মুখ নাজমুল","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত দলীয় প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেছিলেন ফরহাদ। ৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৪০৩ টি ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ টি ভোট, মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৭ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে মেহেরপুর ১ আসন। ১১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।অন্যদিকে মেহেরপুর ২ আসনে প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এএসএম নাজমুল হক। গাংনী উপজেলা নিয়ে ২ আসন। ৯০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতিক নিয়ে নাজমুক হক পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট, মোট ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৯ জন। এ আসনে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700599,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত পাপন,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সারা দেশে একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই কার্যক্রম। এরপর শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের ১৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ভোটগণনা শেষে বিজয়ী হয়েছেন পাপন। ১৪২ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫টি। পাপনের নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি থেকে নূরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৫টি ভোট। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700601,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,বিপুল ভোটে জয়ী শেখ হাসিনা,"গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বিপুল ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম নিজাম উদ্দীন লস্কর একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬৯। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। এর আগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700610,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,বিজয় মিছিল না করতে শেখ হাসিনার নির্দেশ,"নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের বিজয় মিছিল না করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।সায়েম খান আরো বলেন, ‘নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর কোনো প্রকার বিজয় মিছিল না করতে এবং অন্যপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহ লিপ্ত না হতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700609,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা জয়ী,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে কিশোরগঞ্জের তিনটি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা জয়ী হয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর (লিপি)। নৌকা প্রতীকে লড়ে জয়ী হন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তাদের ভাই আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে।কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান (পাপন)। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে।এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) আইনজীবী মো. সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব (লাঙ্গল) মুজিবুল হক (চুন্নু) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) মো. আফজাল হোসেন জয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700608,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,বাগেরহাট-২ আসনে দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী শেখ তন্ময়,"বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয় বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।বিভিন্ন কেন্দ্র, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আসনের দুটি উপজেলার ১২৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।এই নিয়ে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এই আসনে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ১৪১ টি ভোট এবং ৬ জন প্রার্থী ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700611,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,জিএম কাদের জয়ী,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের ) নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (০৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।জাতীয় পার্টি জিএম কাদের লাঙ্গল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮১,৮৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল মার্কা নিয়েছেন পেয়েছেন ২৩,৩২৬ ভোট।এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম আম মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন শূন্য, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. একরামুল হক ডাব নিয়ে পেয়েছেন শূন্য ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) মো. আব্দুর রহমান (রেজু) একতারা মার্কা নিয়ে শূন্য ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মো. সহিদুল ইসলাম মশাল মার্কা নিয়ে শূন্য ভোট পেয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700612,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আবারো জয়ী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,"ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্যরা হলেন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মো. নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. আবদুর রহমান খান (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক)।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ ২১ হাজার ৫৮৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চার লাখ ১৩ হাজার ৯৩২ জন এবং বিজয়নগর উপজেলায় দুই লাখ ৭ হাজার ৬৫২ জন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700616,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,কুমিল্লা-৭ আসনে প্রাণ গোপাল দত্ত বিজয়ী,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট।এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/entertainment/700615,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,মানিকগঞ্জ- ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলুর কাছে হেরে গেলেন মমতাজ বেগম,"মানিকগঞ্জ-০২ (সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা এবং সদর উপজেলার পুটাইল, ভাড়ারিয়া ও হাটিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী( ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এ আসনে মোট ১৯৩ টি ভোট কেন্দ্রের সব গুলির ফলাফল অনুযায়ী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট এবং নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।এতে ৬ হাজার ১৭১ভোট বেশি পেয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু নৌকাকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।সংসদীয় আসনের সকল কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে রাত রাত ১১ টায় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার তার কক্ষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেন। এতে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700619,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,"সাতকানিয়ায় ধরাশায়ী নদভী, ফটিকছড়িতে বিজয়ী প্রথম নারী সানি","চট্টগ্রাম- ১৫ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য বিতর্কিত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীক নিয়েও এবার বিজয়ী হতে পারেননি। এই আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোতালেব ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন নদভী, তার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। চট্টগ্রাম -১ আসনে নৌকা প্রতীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মাহবুর উর রহমান রুহেল, পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।চট্টগ্রাম -২ ( ফটিকছড়িতে) নৌকা প্রতীক নিয়ে সব পুরুষ প্রার্থীকে পেছনে ফেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। চট্টগ্রাম -৯ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮, নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাজিদ পেয়েছেন ১৯৮২ ভোট। চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে এতদিন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ নদভী ধরাশায়ী হওয়ায় দীর্ঘদিন পর এই আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি। কারণ নদভী মূলত: জামায়াত সমর্থিত এবং আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700620,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ঢাকা-২ আসনে ফের বিপুল ভোটে জয়ী কামরুল ইসলাম,"আবারো ঢাকা-২ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম।রবিবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫৪,৪৪৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র থেকে ডা. হাবিবুর রহমান ট্রাক মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০,৬৩৫।এছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মো. আশরাফ আলী জিহাদী মিনার মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২,৯২৫, জাতীয় পার্টি শাকিল আহম্মেদ শাকিল লাঙ্গল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২,০৮৬।এ আসনে মোট ভোটার ৫৫৮,৯৫৪, মোট কেন্দ্র ১৯৭। পুরুষ ভোটার ২৮৯,৪৫৩ নারী ভোটার ২৬৯,৪৮৮।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700622,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,গাইবান্ধা-১ আসনে জয়ী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার,দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।এ ফলাফলে তিনি ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। নির্বাচনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এ আসনে ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশ। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪ জন। আসনটির ভোট কেন্দ্র ১১৪ টি ও ভোটকক্ষ ছিলো ৮৪৬ টি। আসনটিতে দশজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700604,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ভালো ভোট হয়েছে: বিদেশি পর্যবেক্ষক,"ভোট গ্রহণের পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার পর্যবেক্ষকেরা। তারা বলেছেন, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে কোনো ত্রুটি চোখে পড়েনি। ভোটকেন্দ্রের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, গাম্বিয়া, আরব লীগ, ওআইসিসহ নানা দেশ থেকে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান তারা।পরে বিকেলে ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা পর্যবেক্ষকরা এ বিষয়ে সার্বিকভাবে একমত হয়েছি যে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ এবং সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কে কী বললো সেসব নিয়ে আগ্রহ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। রবিবার নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের সমর্থনই গ্রহণযোগ্যতা। পশ্চিমা বা অন্য কাউকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই : কানাডার পর্যবেক্ষক ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা কানাডার পর্যবেক্ষক চন্দ্রা আর্য। নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে আর্য বলেন, ভোটার কত শতাংশ এলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা এসেছে তারা ঠিকমতো ভোট দিয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই। বাংলাদেশের একটি বড় দল ভোট বয়কট করেছে এবং ভোটদানের হার কম হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এসব নিয়ে কথা বলতে আসিনি। কে ভোটে আসবে আর কে আসবে না তা স্ব স্ব রাজনৈতিক দল ঠিক করবে। ভোটদানের বিষয়ে তিনি বলেন, দুই বছর আগে হওয়া কানাডার প্রাদেশিক ভোটে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখানে ৪০ শতাংশের ওপরে। ভালো নির্বাচন হয়েছে।নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ, উন্মুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার অ্যান্দ্রে ওয়াই শুটব। অ্যান্দ্রে শুটব বলেন, আমি বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। খুব দারুণ নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে। ভোটের পরিবেশে নিরাপত্তা ছিল, এটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। কোনো বিষয়ে কোনো তথ্যের অভাব ছিল না। গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ তার নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে জানিয়ে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্বর চাপিয়ে দেয়ার পরিস্থিতি নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, স্বাধীন নীতি গ্রহণ করবে। কেউ চাপিয়ে দিলে হবে না। এছাড়া আমরা দেখছি, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে।ভোট ‘খুব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ হয়েছে : ফিলিস্তিনি পর্যবেক্ষকফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিশাম কুহাইল মত দিয়েছেন, সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমকে কুহাইল বলেন, আমরা যেসব কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি সবগুলোতেই ভোটদানের প্রক্রিয়া খুব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে কুহাইল আরও বলেন, এমন একটি শান্তপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের জনগণের গর্বিত হওয়া উচিত। তবে ভোট কেমন পড়েছে সেই বিষয়ে কুহাইলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, আমরা এখানে এসেছি ভোটদানের প্রক্রিয়া বিচারের জন্য। ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারছেন কি-না এবং পদ্ধতি অনুযায়ী ভোটদান হচ্ছে কি-না সেগুলোই আমরা দেখেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কুহাইল বলেন, দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া বিচারের জন্য আমরা এখানে আসিনি। এটা করতে হলে এখানে আমাকে অন্তত এক মাস অবস্থান করতে হবে। ভোটগ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্টি ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধানের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওআইসির নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে তারা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।তাকে করা নানা প্রশ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে আসা কি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আসার জন্য আপনার ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না? এসব প্রশ্নের জবাব ‘না’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তিন মাস আগে আমি যখন জিম্বাবুয়েতে ছিলাম, তখন আমন্ত্রণপত্র পাই। আমি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে এসেছি, গাজার মতো সেখানে যুদ্ধ চলছে না। আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও প্রতিবেদন জমা দেবো। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়। আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজ যা দেখলাম, এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখলাম। এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি। ভোটে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষকরাযুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দলও বাংলাদেশের ভোট নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। তারা বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেন, সাত আটটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে এতো ভোটারের উপস্থিতি ও ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট এবং ভীষণ আশাবাদী। রাজধানীর বাইরে চল্লিশ থেকে সত্তর শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তারা। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবেন বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের এই পর্যবেক্ষক দল। এর আগে নাইজেরিয়ার পর্যবেক্ষকও ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আরব লীগের পর্যবেক্ষকরাও বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনাকারীরাও ভালোভাবে প্রশিক্ষিত ছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা মূল্যায়ন করতে আসিনি। তারা কোনো ধরনের সহিংসতা লক্ষ করেননি বলেও জানান তিনি।‘ভোটার কম’ একটি ভুল কথা: মার্কিন পর্যবেক্ষক জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক জিম বেটস। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই এটি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। জিম বেটস বলেন, আমি যখন এখানে আসি তখন আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ সবাই বলেছিল, তারা কম ভোটার উপস্থিতির আশঙ্কা করছে। আমি বলেছিলাম, আপনি কেবল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট শেষ করতে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তার নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে এক মাস আগে থেকে ভোট কাস্ট শুরু হয়। তাই যখন আপনার হাতে দিন এবং মাস থাকে তখন ভোটার সংখ্যা বেশি হয়। কিন্তু আপনি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করছেন। তাই আমি ভাবছি কে এখানে খেলছে। কেন তারা ‘সামান্য ভোটার’ শব্দটি দিয়ে গেম খেলছে। তিনি বলেন, যে বিষয়ে কথা বলা হয়ে থাকে, তা হলো কম ভোটার: এটি একটি ভুল কথা। কিছু দেশে ভোট বিকেল ৫/৬ টা পর্যন্ত এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলে। সুতরাং যখন বলা হয় কম ভোটদান, তখন এটি আসলে গণমাধ্যমকে আলোড়ন তৈরি করার জন্য কিছু একটা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700624,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,নৌকার মৃণালকে হারিয়ে স্বতন্ত্র ফয়সালের জয়,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ৩ (গজারিয়া- মুন্সিগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে পরাজিত করে ৮৯ হাজার ৭শ ৫ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মৃণাল নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮শ ৩৩ ভোট। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন। এ আসনে ১৬৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকে মৃনাল কান্তি দাস ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট ও কাঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭শ ৫ ভোট। এ আসনে সংসদ সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রফিকুল্লাহ সেলিম লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯শ ৩৬ ভোট, অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে কেটলি পেয়েছেন ৪৯ ভোট, চেয়ার ৪৮৫, টেলিভিশন ৫৪, মোমবাতি ৬২০, ঈগল ১৯২, একতারা ৭৪৩, ছড়ি ১০৬। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মৃণাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৪৫ জন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনের ২টি পৌরসভা ও ১৭ টি ইউনিয়নের ১৬৯ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতার জেরে পৃথক স্থানে ২ জর নিহতের ঘটনা ঘটে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700625,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,সুনামগঞ্জ-২ আসনে টানা তৃতীয় বারের মতো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডক্টর জয়া,"সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এম পি ড. জয়া সেন গুপ্তা তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। দুই উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রে কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭ শত ৭৫ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৬ শত ৭২ভোট। ড.জয়া সেনগুপ্তা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ কে ৯১০৩ ভোট ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় বিভিন্ন কেন্দ্রের এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী এই ফলাফল পাওয়া যায়৷ এছাড়াও নির্বাচনে ড. জয়া সেন গুপ্তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান, গণতন্ত্র পার্টির মিহির রঞ্জন দাস",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700630,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪,নৌকায় চড়ে শাহজাহান ওমরের বিজয়,"ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনা শেষে এ তথ্য জানা গেছে।৯০টি ভোট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচনে লড়েছেন ৮ জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজয়ী ওমরের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৬২৪ ভোট।উল্লেখ্য, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর ও কাঠালিয়া) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ০৮ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৮৬০ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ১৪৫।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700626,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,চতুর্থবারের মতো সরকারে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ,"বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর বর্জনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে এসবের মধ্যেই সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শেষ পর্যন্ত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের।একাধিক সূত্রে জানা যায়, নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া ২৩৫ আসনের ফলাফলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১৭৭ আসন। আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৮টি আসন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৫০টি আসনে জয় পেয়েছেন।এ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী— ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদে কোনো দল যদি ১৫১ আসনে বিজয়ী হয় তাহলে তারা সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে আগামী সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রীসভা গঠন করা হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700629,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিজয়ী হলেন যারা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে হয়েছে। এখন চলছে গণনা। গণনা শেষে বেশ কয়েক জায়গায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করছেন। এবার জেনে নিন কে কোন আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।ঢাকা বিভাগঢাকা ১ আসনে নৌকা প্রতীক মার্কা সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীক মার্কা সালমা ইসলাম ৩৪ হাজার ৭৪৬ পেয়েছেন। ঢাকা-১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। এ আসলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩১টি। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন পেয়েছেন ছয় হাজার ৩১৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমানত হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪৮ ভোট।ঢাকা–২০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেনজির আহমেদকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি এক লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ২৫৬ ভোট।কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের ফলাফলে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট।কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।গোপালগঞ্জ–৩ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকের প্রার্থী এম নিজামউদ্দিন লস্কর পেয়েছেন ৮৬৯ ভোট।গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।রাজবাড়ী–১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী কেরামত আলীকে (নৌকা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।রাজবাড়ী–২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জিল্লুল হাকিম (নৌকা)।টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। মাদারীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মোতাহার হোসেন চৌধুরী সিদ্দিক পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮২৬ ভোট।মাদারীপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাজাহান খান। তিনি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম নুরুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট।চট্টগ্রাম বিভাগচট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।খাগড়াছড়ি আসনে বেসরকারি ফলাফলে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯’শ ৩৮ ভোট।নোয়াখালী–৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।চাঁদপুর–১ (কচুয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের ড. সেলিম মাহমুদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।বান্দরবান (৩০০ নং) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে হ্যাট্রিক জয় পেলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭টি। আনিসুল হকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান' ভোট পেয়েছেন ৬৫৮৬। তিনি 'আম' প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ফুলের মালা' প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪৫৭৪ ভোট। দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে গড় ভোট পড়েছে ৫৮.১৩ শতাংশ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।সিলেট বিভাগসিলেট ৪ আসনে নৌকা প্রতীকে দুই লাখ পাঁচ হাজার আটশো আটানব্বই ভোট পেয়ে ৭ম বারের মত বিজয়ী হয়েছেন ইমরান আহমদ।সিলেট-৬ আসনে চমক দেখিয়ে ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।সুনামগঞ্জ–৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে বড় ভোটের ব্যবধানে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।মৌলভীবাজার–৪ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস শহিদ।হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব‍্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ‍্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।সুনামগঞ্জ -২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ভোট।সুনামগঞ্জ -৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।রংপুর বিভাগরংপুর–৪ (কাউনিয়া–পীরগাছা) আসনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।দিনাজপুর–৪ আসনে চতুর্থ বারের মতো বিজয়ী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।দিনাজপুর–২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট। পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ফিরোজ কবির ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।পাবনা ৪ ( ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।রাজশাহী বিভাগরাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারি ভাবে সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।রাজশাহী–২ (সদর) নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে হারালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন। তিনি ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।চাঁপাইনবাবগঞ্জ–৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আব্দুল ওদুদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর–১ (লালপুর–বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আবুল কালাম আজাদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর–২ (সদর–নলডাঙ্গা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল।নাটোর–৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২টি এবং ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮টি ভোট।বরিশাল বিভাগবরিশাল-১ আসন (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।বরিশাল–২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল অব জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।পটুয়াখালী–১ (সদর–মির্জাগঞ্জ–দুমকী) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।পটুয়াখালী -২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।পটুয়াখালী–৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম শাহজাদাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।পটুয়াখালী–৪ (কলাপাড়া–রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিববুর রহমানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ১ হাজার ৬৫৩ ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীক নিয়ে মোঃ আলমগীর পেয়েছেন ১ হাজার ৫১১ ভোট।ঝালকাঠি -১ ( রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট।ময়মনসিংহ বিভাগশেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।শেরপুর–২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন তিনি।শেরপুর–৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম।রংপুর বিভাগরংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।রংপুর–৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে এবারের নির্বাচনে একমাত্র তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহার হোসেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পান।লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫০০ ভোট।লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০ ভোট।নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। আসাদুজ্জামান নূর এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নীলফামারী-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।কুড়িগ্রাম-২ (সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট। কুড়িগ্রাম-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৮০২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই সরকার। তিনি পেয়েছেন ৫৯৭৫৬ ভোট।কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌমেন্দ্র সেন গবা পান্ডে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৩৩৬৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. আক্কাস আলী ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন ৩৫৫১৫ ভোট।কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৬৬৫৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২৬৮৪ ভোট। দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন তিনি।নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ভোট।দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হলেন শিবলী সাদিক। নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক এক লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন। মোট ১০৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাজহারুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২শ ৩৪ ভোট।খুলনা বিভাগখুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬২ ভোট। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।খুলনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫০ ভোট।ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট। মেহেরপুর-১ ( সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৩০৩টি। ফরহাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন । মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ আসন থেকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।মেহেরপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম নাজমুল হক সাগর । তিনি ৭২৭২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫৯৩ ভোট।সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।যশোর-১ (শার্শা) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন। এনামুল পেয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।যশোর–৬ (কেশবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৭টি । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700618,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,"জিতলেন ট্রাকের আওলাদ, হারলেন নৌকার সানজিদা","ঢাকা-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ড. আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।উল্লেখ্য, ড. আওলাদ হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ড. আওলাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/sports/700623,ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪,ভোটের মাঠে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জয়জয়কার,"বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে ভোট গ্রহণ। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বেড়েছে। ৩০০টি আসনে ভোট নেয়ার কথা থাকলেও একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ এ ভোট বাতিল করা হয়েছে। ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৯৬ জন নারী ও দুজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া), বাকি সব পুরুষ। দেশের ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল ভোটে অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা ১৬টি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করেছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৮২ জন। নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মোট এক হাজার ৮৯৫ প্রার্থী। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৮২ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে লড়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের একাধিক তারকা। যারা একসময়ে ময়দান কাঁপিয়েছেন তারাই এখন রাজনীতির মাঠে। সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা সংসদ সদস্য হওয়ার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অনেকে বর্তমান সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। আবার অনেকে প্রথমবারের মতো এমপি হওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই খেলা ফুটবল এবং ক্রিকেট। এই দুই খেলার একাধিক সাবেক খেলোয়াড়ই সংসদ সদস্য হওয়ার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ১৫২ কেন্দ্রে সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের কাজী রেজাউল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৩ ভোট।যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুর-২ আসন থেকে এবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১,০৩৯৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের কাজী আলিম উদ্দিন পেয়েছেন ৮১,৮০৪ ভোট। সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বীরেন শিকদার মাগুরা-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১০ হাজার ১৬৯ ভোট।জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালেও জাতীয় নির্বাচন করেছিলেন তিনি। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ফের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এবারও মনোনয়ন দেয়া হয়। নড়াইল-২ আসন থেকে মাশরাফি এবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতুড়ি প্রতীকের হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৪০৪১ ভোট।মাশরাফি-সাকিবদের অভিভাবক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সন্তান হলেও এর মধ্যেই সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন নাজমুল হাসান। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে ২০০৯ সালে উপনির্বাচন দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরের দুই মেয়াদেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবারো কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হোসেন পাপন।তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লাঙ্গল প্রতীকের নূরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন ৩০৫৫ ভোট। বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবার জাতীয় নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে সফি আহমেদ সালমান ট্রাক মার্কায় পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৭১৮ ভোট।ক্রিকেট ছেড়ে এবার ফুটবলে আসা যাক। যেখানে রয়েছে একাধিক পরিচিত নাম। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ আসন থেকে জয়ের পথে। কেটলি প্রতীকের মর্তুজা রশিদ পেয়েছেন ৪২০৯ ভোট। আব্দুস সালাম মুর্শেদী পেয়েছেন ৭৮৯৯ ভোট।২০১৮ সালে আব্দুস সালাম মুর্শেদী সাংসদ নির্বাচিত হন। এবার তাকে জিততে হয়েছে ৯ প্রার্থীকে হারিয়ে। সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল এবার নির্বাচন করেছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনে। বিসিবির সাবেক পরিচালক ও আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদকে লড়েছেন শেষ দুইবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজের সঙ্গে, কিন্তু নির্বাচনে হেরেছেন আপন চাচাতো ভাই শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদের বিপক্ষে।ফুটবল মাঠের আরেক সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় এবার নেত্রকোনা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হলেও পরেরবার নৌকার টিকেট পাননি তবে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে তিনি টেক্কা দিতে চেয়েছিলেন নৌকার মাঝি আশরাফ আলী খান খসরুকে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। আশরাফ আলী খান খসরু পেয়েছেন ১০২৪৫৯ ভোট। আরিফ খান জয় পেয়েছেন ৮৪১০৫ ভোট।বাফুফের চারবারের সহ সভাপতি ও আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ নৌকার প্রতীক নিয়ে লড়ছেন যশোর-৩ আসনে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারো একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হতে হয়েছে কাজী নাবিল আহমেদকে। তিনি পেয়েছেন ১,২১,৮৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহিত কুমার নাথ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪,৭১০ ভোট।ফুটবল ফেডারেশনের আরেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরেছেন। এ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আলহাজ মোরশেদ আলম। তিনি পেয়েছেন ৫৬১৮৬ ভোট। আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক পেয়েছেন ৫২,৮৬৩ ভোট।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700714,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, মিরসরাইয়ে ৫৪ বছর পর নৌকার নতুন মাঝি মাহবুব উর রহমান,"চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। নতুন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নিজ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির মেঝ সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) জয়ী হয়ে মাহবুব উর রহমান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা ও নৌকা দিয়ে সংবর্ধনা দেয়।জানা গেছে, ১৯৭০ সাল থেকে মিরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বয়সের ভারে নজ্যু বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তার মেঝ সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেলের পক্ষে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে রুহেল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নির্বাচন না করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহেলের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন নিবিড়ভাবে। সার্বক্ষণিক নির্বাচনের বিষয়ে ছেলেকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সুদীর্ঘ ৫৪ বছর মিরসরাই সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আবর্তিত হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কে ঘিরে। মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠন চলে তার নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন না করলেও দলের সর্বোচ্চ পদ সভাপতিমন্ডলীর সদস্যে আসীন বর্ষীয়ান এ নেতা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত মাহবুব উর রহমান রুহেল কে নিয়ে নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখছেন মিরসরাই আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। দলীয় নেতাকর্মীদের আশা মাহবুব উর রহমান রুহেল শপথ নেয়ার পর যোগ্যতার বিবেচনায় মন্ত্রী হয়ে বাবার মতো শুধু মিরসরাই নয় পুরো দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ না নিয়ে তার মেঝ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। বাবার জনপ্রিয়তা ধারণ করে মাহবুব উর রহমান রুহেল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে বেসরকারি ভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা আশা করি দক্ষতা, যোগ্যতা মেধার বিবেচনায় স্মার্ট বাংলাদেশের নব নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে স্মার্ট এমপি যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেল। বাবার মতো তিনিও দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি মিরসরাইয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন।বেসরকারিভাবে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে অভিভূত। ৭ জানুয়ারি দলমত নির্বিশেষে মিরসরাইয়ের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন। শপথ নেয়ার পর মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে পলিথিনযুক্ত যেসব নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার লাগানো আছে তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলবো। এরপর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মিরসরাইকে মাদকমুক্ত করবো। মিরসরাইয়ের পর্যটন-স্পটগুলোকে ইকোট্যুরিজম হাব হিসেবে গড়ে তুলবো। অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ মিরসরাইয়ে যেসব শিল্প কারখানায় গভীর নলকূপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করছে তা বন্ধ করে দিয়ে মালিকদেরকে সাগর ও নদীর পানি ব্যবহারে বাধ্য করবো। আমার পিতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরামর্শ নিয়ে মিরসরাইয়ে রাজনীতি সহ সকল উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700711,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের জনগণকে মোদির অভিনন্দন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মোদি ওই অভিনন্দন জানান। পরে নরেন্দ্র মোদি এক্স (সাবেক টুইট) বার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য তাকে আমি অভিনন্দন জানিয়েছি। মোদি লিখেছেন, সফলভাবে নির্বাচনের জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের জনগণকেন্দ্রিক ও স্থায়ী অংশীদারি জোরদারে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর আগে সোমবার সকালে নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে তিনিই সবার আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও অভিনন্দন জানান। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনার নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন। প্রণয় ভার্মা বলেন, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তিনি এসময় মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের অভিন্ন আত্মত্যাগের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700706,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন মমতা ব্যানার্জি," আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদ ও পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করতে চলেছেন। তার এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সেখানকার কপিলমুনির আশ্রম থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি। কলকাতার গণমাধ্যম থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার অভিনন্দন থাকবে বাংলাদেশের জন্য। হাসিনাজির প্রতি। তার পরিবারের প্রতি। তার দলের প্রতি। এবং অন্যান্যদেরও বলব, আল্লাহ আপনাদের দোয়া করুন, ঈশ্বর আপনাদের আশীর্বাদ করুক। উল্লেখ্য, রবিবারই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে। দেশটিতে নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের মোট আসনের দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয় পেয়েছে হাসিনার দল। টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700708,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, পোস্টার অপসারণে নামলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাদেল," নির্বাচন শেষ হতেই নিজের পোস্টার অপসারণে নামলেন মৌলভীবাজার-২ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তিনি পোস্টার অপসারণের উদ্বোধন করেন। কুলাউড়া পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের পলিথিন মোড়ানো পোস্টারে পুরো শহর সয়লাব হয়ে গেছে। এসব পোস্টার ছিটকে পড়লেও পচে নষ্ট হবে না। আবর্জনার স্তূপ জমে উঠবে। এতে করে পরিবেশ দুষিত হবে। তাই বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচনের পরদিন নিজের পোস্টার অপসারণে নেমেছেন। অপসারণকালে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কুলাউড়া সংসদীয় আসনের বিভিন্ন রাস্তাঘাটের পাশে যেখানে পলিথিন মোড়ানো পোস্টার বাধা রয়েছে সেগুলো অপসারণ করতে হবে। কেননা, পলিথিন মোড়ানো পোস্টার পরিবেশ নষ্ট করে। এগুলো সাধারণত পচে না। তাই আমাদের নিজ দায়িত্বে এগুলো অপসারণ করে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700726,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা," সংদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সোমবার বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ২২৩টি আসনে। স্বতন্ত্র বিজয়ী হয় ৬২টিতে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জয়ী হয় একটি আসনে।উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700748,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নব নির্বাচিত এমপিকে সিংগাইর প্রেসক্লাবের অভিনন্দন," মানিকগঞ্জ-২ আসনের নবনির্বাচিত এমপি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিংগাইর প্রেসক্লাব।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল দেওয়ান প্লাজায় ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। নির্বাচন কালীন সময়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে সহায়তার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। সেই সাথে আগামী দিনগুলোতে সবাইকে তার পাশে থাকার আহবান জানান নবনির্বাচিত এমপি। এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিংগাইর প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো.সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম বাদশাহ, সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন, মো. সাইফুল ইসলাম তানভীর, মো.মিজানুর রহমান, মো. আলী রিপন, মোস্তাক আহমেদ, মো.হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700794,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, প্রধানমন্ত্রীকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি। তিনি টুইটার অর্থাৎ এক্স মাধ্যমে দেয়া একটি পোস্টে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য আমার অভিনন্দন”।তিনি আরো বলেন, কমনওয়েলথ সচিবালয় জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের জনগণ ও কমনওয়েলথ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য শেখ হাসিনার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৯৯টি আসনে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। নির্বাচনে একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এরমধ্যে নির্বাচন (ইসি) কমিশন আজ ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের তালিকাসহ গেজেট প্রকাশ করেছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700719,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," মাত্র ২১ দিনের রাজনীতি, হয়ে গেলেন এমপি!"," মায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপ ইয়ার্ড দেখাশুনা করতেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর। ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে। হঠাৎ তার মা মিসেস আফরুজা বারীর হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পণ নাহিদ নিগারের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২১ দিনের রাজনৈতিক জীবনের পূজিতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দুই বারের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য হয়ে চমকে দিলেন সবাইকে।এদিকে নিগারের মা মিসেস আফরুজা বারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হন। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মায়ের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হওয়ার কারণে নিগার গত ১৮ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢেঁকি প্রতীকে সংসদ নির্বাচনের মাঠে ভোটের লড়াইয়ে নামেন। অন্যদিকে, নাহিদ নিগারে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য প্রবাসে যান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও কানাডার ওয়াটার লু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে ডিগ্রি নেন। পরে আনন্দ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে নামেন। বিষয়টি নিয়ে সদা মিষ্টভাষী নিগার বলেন, আমার নানা আশরাফ আলী, নানী আলতাফুন্নেছা, মামা শহীদ এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও মা আফরোজা বারীর হাত ধরে ছোট বেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেখে আসছি।নির্বাচন প্রসঙ্গে বিশদভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার পর সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে মুহূর্তে হতাশাবোধ করছিলেন ঠিক সেই সময়টাতে তার উত্তরসূরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে পাওয়ায় তারা তখন বেশ উজ্জীবিত হয়। ফলে স্থানীয় ও সাধারণ মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা পেতে শুরু করি। এরমধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আমি রাজনীতির পথে পা বাড়াই। ঠিক ওই দিন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে আমার যাত্রা শুরু হয়। পরে তফসিল অনুযায়ী মাত্র ২০ দিন সময়ে পুরা উপজেলায় জনসংযোগ ও উঠান বৈঠক শুরু করি। এতেই সাধারণ মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে।নিগারের পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী প্রকৌশলী ড. তারিকুল ইসলাম। আর আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে আমাদের সংসার। সবশেষে তাকে সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় এলাকাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/international/700757,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নজরে রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নজরে রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন বলেও জানানো হয়েছে।স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন ও নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আন্তোনিও গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো এই মন্তব্য করেন।ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং শেখ হাসিনা সেখানে বিজয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও এই নির্বাচন এমন এক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ এবং বিরোধী নেতাকর্মীকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জাতিসংঘ কি বিশ্বাস করে, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে?এই প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখছি। সেখানে (বাংলাদেশে) কী ঘটছে তার দিকে নজর রাখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি আরো বলেন, বিরোধীদলগুলোর নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অবগত, এছাড়া ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও জানেন তিনি। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবর নিয়েও তিনি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন।তিনি আরো বলেন, সব পক্ষকে যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700758,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৯৮ আসনের গেজেট প্রকাশ করলো ইসি,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলের ২৯৮ টি আসনের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এক জরুরি বৈঠকে গেজেট প্রকাশের অনুমোদন দেয় কমিশন। এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন। গেজেটটি এবার ইসির অনুমোদনের পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য পাঠান হবে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, গেজেট প্রকাশের জন্য এমপিদের নাম, সংসদীয় আসন, পিতা মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রেসে পাঠানো হয় এবং বিকেলে গেজেট প্রকাশ করা হবে। ইসি সচিব বলেন, নিয়ম মেনেই নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা কোনো অনিয়ম গ্রহণ করিনি। অপরদিকে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনে নয়া এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলে পরের দিন বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২৫টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র পেয়েছে ৬১টি আসন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700780,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন,"দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তারা। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এফবিসিসিআই নেতারা।দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ সময় দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে অবদান রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি জনাব খায়রুল হুদা চপল, জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, মিস শমী কায়সার, জনাব রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), জনাব মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালক ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700782,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিশ্বের সব দেশই নির্বাচনের প্রশংসা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রশংসা করেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। এবারের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন হয়েছে। সব দেশই বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা প্রশ্ন তুলেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটি ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700785,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জামিন পেলেন নব-নির্বাচিত এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন,"নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের নৌকা প্রতিকের নব-নির্বাচিত এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক আশিকুর রহমান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। সাতক্ষীরা আদালতের পরিদর্শক মেহেদি হাসান জানান, এমপি স্বপন কলারোয়া থানার একটি জিআর মামলার আসামী। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা হয়। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য দলের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় বিপদে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। তার এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির লঙ্ঘন দাবি করে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ করেন জাপা প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মুজিব। পরে ওই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700783,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় শেখ হাসিনাকে ঢাবি ভিসির শুভেচ্ছা ,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে শেখ হাসিনাকে এই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার নেতৃত্বে সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের নেতৃত্বে নীল দলের কো-কনভেনর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ ও অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম আলাদা আলাদাভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700656,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিপুল ভোটে জিতলেন শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমান জয় পেয়েছেন বড় ব্যবধানে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।রবিবার ৭ জানুয়ারি বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচনের এই ফলাফল এ তথ্য জানা যায়।নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ২৩১‌টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী নৌকা মার্কা নিয়ে একেএম শামীম ওসমান পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাপ ফুল মার্কার মুরাদ হোসেন জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট।নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে ১৭৫টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী লাঙল প্রতীক নিয়ে একেএম সে‌লিম ওসমান পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার মার্কার এএমএম একরামুল হক ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন।নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা ও একটিতে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700652,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, স্বতন্ত্রে ধরাশায়ী আ.লীগের শাহীন চাকলাদার," যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার।জেলা রিটার্নিং অফিসার জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষকলীগ নেতা আজিজুল ইসলামের কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার ৯ হাজার ৬৭৮ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সারা দেশে একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই কার্যক্রম।জেলা রিটানিং অফিসারের দেয়া তথ্য মতে, এই নির্বাচনে শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম আমিন হোসেন ‘কাঁচি’ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২০৯ ভোট। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিএম হাসান ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪০ ভোট।শাহীন চাকলাদার যশোর-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮১টি। ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৩১৭জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২৫২টি ভোট।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700664,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,ঢাকা-১ আসনে সালমান এফ রহমানের জয়,"ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন সালমান ফজলুর রহমান।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা-১ আসনে ১শ ৮৪টি কেন্দ্রে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সালমান ফজলুর রহমান। তিনি আরো জানান, সালমান ফজলুর রহমান ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সালমা ইসলাম লাঙল প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৯৩০টি ভোট পেয়েছেন।এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মো. করম আলী হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৬শ ৪২টি, গণফ্রন্টের শেখ মো. আলী মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৫৩১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সামসুজ্জামান চৌধুরী একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৫০৮টি, তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খান সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭৩টি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর হাকিম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০টি ভোট পেয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700660,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর জয়,"কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে দুই উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এ আসনে লাঙল প্রতীকে মুজিবুল হক চুন্নু পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এডিসি মেজর (অব.) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট। জেলার বাকি পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসেন বিজয়ী হয়েছেন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৭,৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে পান ৭৪,০৬২ ভোট।কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন। ঈগল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৯,৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল কাহার আকন্দ নৌকা প্রতীকে পান ৬৮,৬৯২ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠাইমন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিজয়ী হয়েছেন রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২,০৮,৪৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু ওয়াহাব লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২,৭৩৫ ভোট।কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আফজাল হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি ৮৪,০৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত পাল ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮,৭৬৩ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১,৯৮,১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. রুবেল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে পান ৩,২০৬ ভোট।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700658,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, অপরাজেয় মানিকগঞ্জের ৩ জাহিদ,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজয় মালা পরিধান করলেন মানিকগঞ্জের ৩ জাহিদ।৭ জানুয়ারি (রবিবার) মানিকগঞ্জের ৩টি আসনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সকল কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিজয়ী হন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৬,৯৪১ । স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লাঙ্গল প্রতীকের জোট মনোনীত প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৮ হাজার ৯৪২। এই আসনে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। জাহিদ আহমেদ টুলুর প্রাপ্ত ভোট ৮৮ হাজার ৩০৯। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মমতাজ বেগম পান ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।মানিকগঞ্জ-৩ আসনে চতুর্থ বারের মত নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আলহাজ্ব জাহিদ মালেক। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল পান ৫ হাজার ৩৯১ ভোট।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700661,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪," ফেনীর ২ আসনে নৌকা, ১ আসনে লাঙ্গল", ফেনীর ২ আসনে জয় পেয়েছে নৌকা। ১ আসনে জয় পেয়েছে লাঙ্গল। ফেনী-১আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম (নৌকা) - ১৮২৭৬০নিকটতম: শাহরিয়ার ইকবাল (লাঙ্গল) ৪১৯৫;ফেনী-২নিজাম উদ্দিন হাজারী (নৌকা) ২৩৬৫৯৮নিকটতম : নজরুল ইমলাম (লাঙ্গল) ৪৮৫৮ফেনী-৩মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল) ১৪৭৭৬০;নিকটতম : হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল) ৯৬২৬,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700665,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে হ্যাট্রিক জয় আনিসুল হকের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।রবিবার (৭জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।এতে তথ্য মতে, নৌকা প্রতীকে আনিসুল হক পেয়েছেন দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান আম মার্কায় ভোট পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট। অপর প্রার্থী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন চার হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়েছেন।২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা দুই মেয়াদে আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী একমাত্র ব্যক্তিও তিনি।দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে গড় ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের মোট ভোটকেন্দ্র ১১৮টি। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় ৭৪টি ও আখাউড়া উপজেলায় ৪৪টি কেন্দ্র। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700670,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, পৌর মেয়রের কাছে হারলেন মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।ফয়সাল বিপ্লব ৬৮৩৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এ এফ এম রফিকুল্লাহ সেলিম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৬ ভোট।মুন্সীগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।মনোনয়ন বঞ্চিত হলে ফয়সাল বিপ্লব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।অন্যদিকে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গত দুবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তাকে নৌকা প্রতীকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700671,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, টানা চতুর্থ বারের মত এমপি হলেন এড. নূরুল ইসলাম সুজন," পঞ্চগড়-২ আসনে চতুর্থ বারের মত এমপি নির্বাচিত হলেন রেলপথ মন্ত্রী এড. নূরুল ইসলাম সুজন। দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এড. নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চমবারের মতো নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) রেলপথ মন্ত্রী এড. নূরুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতিকে ১,৮১,৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের লুৎফর রহমান রিপন ৭,৬২৭ ভোট, অপর দুইজন প্রার্থী তৃণমূল বিএনপি পাটের আঁশ প্রতিকের ৪,৪২০ ভোট ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) একতারা প্রতিকের আহমাদ রেজা ফারুকী ৪,৪৭০ ভোট পান।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700684,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হবে," বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হতে পারে। ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন নসরুল হামিদ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। নির্বাচনে জয়ের পর সচিবালয়ে এলে অনেকেই নসরুল হামিদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে কমিশন শক্ত অবস্থান নেয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থীরা যে যেভাবে এলাকায় সময় দিয়েছেন ভোটাররা নির্বাচনে সেই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমাদের অর্থ বিভাগের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হবে।রবিবার সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। ৩০০ আসনের মধ্যে মোট ২৯৮টির ফলাফল বেসরকারিভাবে জানা গেছে। নির্বাচনের নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২২৪ আসন, স্বতন্ত্র ৬২, জাতীয় পার্টি ১১ ও কল্যাণ পার্টি একটি আসন পেয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700698,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, চ্যালেঞ্জ করে বলছি ভোট পড়েছে ৪১.৮ শতাংশ: সিইসি,"প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ নিয়ে কারো সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।সোমবার (৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন যে ফলাফল দাঁড়িয়েছে সেটা হচ্ছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।তিনি বলেন, কারো যদি সন্দেহ বা দ্বিধা থাকে, ইউ কেন চ্যালেঞ্জ ইট; এবং এটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যে রেজাল্টগুলো আসছে যদি মনে করেন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাহলে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম; ওটাকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের অসততা আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।এখন ফাইনাল পারসেন্টেজটা হচ্ছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। কেউ মনে করলে এটাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, আমরা প্রমাণ করবো।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/entertainment/700697,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে জিতে কাঁদলেন ফেরদৌস," সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই জয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই তারকা। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় স্মরণ করেন তার প্রয়াত বাবা ও শ্বশুরকে। এসময় কাঁদতে দেখা যায় নায়ককে। জয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘বাবাকে খুব মিস করছি। আমার শ্বশুর থাকলেও খুব খুশি হতেন। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। যিনি আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন। কীভাবে মানুষকে ভালোবাসা যায়, তার কাছ থেকেই শিখেছি। কীভাবে সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণভাবে ভালোবাসা যায়, সেটাও জেনেছি। গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি, তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি।’স্ত্রী তানিয়া রেজাকে সঙ্গে নিয়ে ফেরদৌস আরো বলেন, ‘আমার স্ত্রী, দুই মেয়ে, স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যারা আছেন তারা খুব খুশি হয়েছেন। এমন একটা আনন্দ যা বলে বোঝানো যাবে না। এই খুশি একা ভাগাভাগি করা সম্ভব না। আশেপাশের মানুষ, বন্ধু-বান্ধব এসেছেন, আমার খুবই ভালো লাগছে।’এসময় কর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘এই ফুলের মালা আমার দায়িত্ব আরো বাড়িয়েছে। আমি সেবক হতে চেয়েছিলাম, সেবা করব। মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম সেবা করার, করেছিও। জনগণ মালা পরিয়ে দিয়েছে, এখন নিশ্চিত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াব। আমি নেতাকর্মীদের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তারা ছাড়া এ জয় কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।’",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700611,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪, জিএম কাদের জয়ী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের ) নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (০৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।জাতীয় পার্টি জিএম কাদের লাঙ্গল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮১,৮৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল মার্কা নিয়েছেন পেয়েছেন ২৩,৩২৬ ভোট।এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম আম মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন শূন্য, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. একরামুল হক ডাব নিয়ে পেয়েছেন শূন্য ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বি.এস.পি) মো. আব্দুর রহমান (রেজু) একতারা মার্কা নিয়ে শূন্য ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মো. সহিদুল ইসলাম মশাল মার্কা নিয়ে শূন্য ভোট পেয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700610,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪, বিজয় মিছিল না করতে শেখ হাসিনার নির্দেশ ," নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের বিজয় মিছিল না করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।সায়েম খান আরো বলেন, ‘নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর কোনো প্রকার বিজয় মিছিল না করতে এবং অন্যপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহ লিপ্ত না হতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700609,ভোরের কাগজ,০7 জানুয়ারি ২০২৪, সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা জয়ী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে কিশোরগঞ্জের তিনটি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানেরা জয়ী হয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর (লিপি)। নৌকা প্রতীকে লড়ে জয়ী হন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তাদের ভাই আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে।কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান (পাপন)। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে।এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) আইনজীবী মো. সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব (লাঙ্গল) মুজিবুল হক (চুন্নু) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) মো. আফজাল হোসেন জয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700616,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, কুমিল্লা-৭ আসনে প্রাণ গোপাল দত্ত বিজয়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট।এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700614 ,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে। দেশটির মূলধারার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শীর্ষ খবর হিসেবে প্রচার করেছে। নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট চলে। তবে, বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনটি বর্জন করেছে এবং জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে হরতাল ডেকেছে দলটি।এনডিটিভি, এএনআই, ডিডি মেট্রো, ডব্লিউআইওন-এর মতো মূলধারার ভারতীয় মিডিয়া সকালে ভোট গ্রহন শুরুর সময় থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু খবর প্রচার করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নিউজ স্ট্রীম এবং দ্য ওয়্যারও ভোটের খবর প্রচার করেছে। এছাড়া, স্বাধীন পর্যবেক্ষকগন ছাড়াও তিনজন ভারতীয় পর্যবেক্ষক এবং কয়েক ডজন ভারতীয় সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং তাদের নিজ নিজ মিডিয়া আউটলেটে ভোটের ব্যাপক কভারেজ দিতে বাংলাদেশে রয়েছেন।এদিকে শিক্ষাবিদ, সাবেক কূটনীতিক এবং ভারতীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও নির্বাচনের গুরুত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে কীভাবে দেখছে, তা নিয়ে গত কয়েক দিনে জাতীয় দৈনিকে বেশ কয়েকটি কলাম বা উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই নির্বাচন নিয়ে অন্তত তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এনডিটিভি বিভিন্ন শিরোনামে দুপুর পর্যন্ত তিনটি খবর প্রচার করেছে। তারা লিখেছেন, বিএনপি’র হরতাল উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে মানুষ হরতাল, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার মধ্যেও ভোট দেয়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ৪র্থ মেয়াদে জয়ী হতে পারেন। এনডিটিভি বিভিন্ন স্পট থেকে নির্বাচনের লাইভ আপডেট দিচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের তিনজনসহ ১০০ বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। এএনআই পৃথক শিরোনামে দিয়ে তিনটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছে, অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস “বাংলাদেশের নির্বাচন : বিরোধিতা ছাড়াই, শেখ হাসিনা আবার জয়ী হতে চলেছেন” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া পৃথক ক’টি প্রতিবেদন এবং “ভূ-রাজনীতির দোলাচলে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন-২০২৪’ :ভারতের সতর্ক দৃষ্টি” শিরোনামে প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক ও পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ শচীন পরাশরের লেখা একটি উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। “বাংলাদেশে ভোটাররা সন্ত্রাস ও বিরোধীদের বয়কটজনিত পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন” শিরোনামে দ্য হিন্দু একটি প্রতিবেদন ছেপেছে। ভোট প্রক্রিয়া বানচাল করতে ১৮টি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে পত্রিকাটি রিপোর্ট করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং অন্যান্য ভারতীয় সংবাদপত্রও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইংরেজি ভাষার ভারতীয় গণমাধ্যম ছাড়াও, হিন্দি ও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার সংবাদপত্রে বাংলাদেশের নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এদিকে ভারতীয় স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক গৌতম লাহিড়ী আজ গাজীপুর থেকে ফোনে বাসস’র নয়াদিল্লি প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছেন। লাহিড়ী বাসস’কে বলেন, তারা সকাল থেকে ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন,“আমরা ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট দেখতে পেয়েছি। ভোটাররা আসতে শুরু করেছে ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।” আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া কেউই সফলকাম হবে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৪২ সহস্রাধিক ভোটকেন্দ্রের মোট ১১ কোটি ৯৬ লক্ষ নিবন্ধিত ভোটার বৈধভাবে ভোট দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া, ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২৭টি রাজনৈতিক দলের দেড় সহস্রাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700612,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আবারো জয়ী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী," ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্যরা হলেন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মো. নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. আবদুর রহমান খান (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক)।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ ২১ হাজার ৫৮৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চার লাখ ১৩ হাজার ৯৩২ জন এবং বিজয়নগর উপজেলায় দুই লাখ ৭ হাজার ৬৫২ জন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700620,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ঢাকা-২ আসনে ফের বিপুল ভোটে জয়ী কামরুল ইসলাম,"আবারো ঢাকা-২ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম।রবিবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫৪,৪৪৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র থেকে ডা. হাবিবুর রহমান ট্রাক মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০,৬৩৫।এছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মো. আশরাফ আলী জিহাদী মিনার মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২,৯২৫, জাতীয় পার্টি শাকিল আহম্মেদ শাকিল লাঙ্গল মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২,০৮৬।এ আসনে মোট ভোটার ৫৫৮,৯৫৪, মোট কেন্দ্র ১৯৭। পুরুষ ভোটার ২৮৯,৪৫৩ নারী ভোটার ২৬৯,৪৮৮।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700619 ,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪," সাতকানিয়ায় ধরাশায়ী নদভী, ফটিকছড়িতে বিজয়ী প্রথম নারী সনি"," চট্টগ্রাম- ১৫ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য বিতর্কিত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীক নিয়েও এবার বিজয়ী হতে পারেননি। এই আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোতালেব ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন নদভী, তার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। চট্টগ্রাম -১ আসনে নৌকা প্রতীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মাহবুর উর রহমান রুহেল, পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।চট্টগ্রাম -২ ( ফটিকছড়িতে) নৌকা প্রতীক নিয়ে সব পুরুষ প্রার্থীকে পেছনে ফেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। চট্টগ্রাম -৯ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮, নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাজিদ পেয়েছেন ১৯৮২ ভোট। চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে এতদিন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ নদভী ধরাশায়ী হওয়ায় দীর্ঘদিন পর এই আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি। কারণ নদভী মূলত: জামায়াত সমর্থিত এবং আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700618,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪," জিতলেন ট্রাকের আওলাদ, হারলেন নৌকার সানজিদা "," ঢাকা-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ড. আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।উল্লেখ্য, ড. আওলাদ হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ড. আওলাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/entertainment/700628,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ফেরদৌসের বিজয়," অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিন সতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে কেন্দ্রে যান শোবিজ তারকারাও। এবারের নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন এই নায়ক।ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।প্রসঙ্গত, রাজধানীর ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে এই আসন। নির্বাচনে ফেরদৌসের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন চারজন। তারা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম (আম), জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন)।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700636,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, কুড়িগ্রামের ৪টি আসনের ফলাফল," কুড়িগ্রামের চারটি আসনের মধ্যে লাঙ্গল ১টি আসন, স্বতন্ত্র ১টি, নৌকা ২টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী) জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৮৮ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপফুল প্রতীক) আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার ১ লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পাটির প্রার্থী (লাঙ্গল) মো. পনির উদ্দিন আহমেদ ভোট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ টি ভোট।কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক গবা পান্ডে ৫৩ হাজার ৩ শত ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য।( ট্রাক প্রতীক) মো. আক্কাছ আলী সরকার ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ টি ভোট।কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী বিপ্লব হাসান ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল) ১২ হাজার ৬৮৪ টি ভোট।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700631,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ," ‘নূহের নৌকা’ ডুবে না। ডুবে যায় তার বিরোধীগোষ্ঠী। নূহের নৌকার জয়জয়কার যেনো তাই আবার প্রমাণ করলো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখাগরিষ্ঠতায় টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বাংলার সিংহাসন ফের বরণ করে নিতে প্রস্তুত এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয়েছে গণনা। ইতোমধ্যে ২১৩ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারাই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল। বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ রবিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ২২৫ আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া, জাতীয় পার্টি ১১ও স্বতন্ত্র থেকে ৬১ ও অন্যান্য ১ প্রার্থী জয় পেয়েছেন।ফলে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী- ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদে কোনো দল যদি ১৫১ আসনে বিজয়ী হয় তাহলে তারা সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে আগামী সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায়, এবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রীসভা গঠন করা হবে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া অন্য প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির দপ্তর সেল সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700630,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নৌকায় চড়ে শাহজাহান ওমরের বিজয়," ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনা শেষে এ তথ্য জানা গেছে।৯০টি ভোট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচনে লড়েছেন ৮ জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজয়ী ওমরের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৬২৪ ভোট।উল্লেখ্য, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর ও কাঠালিয়া) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ০৮ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৮৬০ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ১৪৫।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700629,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিজয়ী হলেন যারা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এবার জেনে নিন কে কোন আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।ঢাকা বিভাগঢাকা-১ আসনে ১৮৪ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।ঢাকা-২ আসনে ১৯৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট।ঢাকা-৩ আসনে ২২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের মো. মনির সরকার পেয়েছেন ২৮৬৮ ভোট।ঢাকা-৪ আসনে ৭৭টির কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফলাফল এসেছে। এ আসনে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। নৌকা প্রতীকের সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।ঢাকা-৫ আসনে ১৮৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।ঢাকা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনার প্রতীকের মো. রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১১ হাজার ৯ ভোট।ঢাকা-৭ আসনে ১২৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৮ ভোট।ঢাকা-৮ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট।ঢাকা- ৯ আসনে ১৬৯টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।ঢাকা-১০ আসনে ১১৯টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭ ভোট। ঢাকা ১১ আসনে ১৬২ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের শামীম আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।ঢাকা-১২ আসনে ১৪০ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু ২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন।ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজয়ী হয়েছেন।ঢাকা-১৪ আসনে ১৬৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মো. লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।ঢাকা-১৫ আসনে ১৩৩ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির শামসুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট। ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আলী মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন।ঢাকা-১৭ আসনে ১২৪টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের আরাফাত পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।ঢাকা-১৮ আসনে ২১৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। কেটলি প্রতীকের মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।ঢাকা-১৯ আসনে ২৯২ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।ঢাকা-২০ আসনে ১৪৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি এক লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ২৫৬ ভোট।কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের ফলাফলে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট।কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।গোপালগঞ্জ–৩ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকের প্রার্থী এম নিজামউদ্দিন লস্কর পেয়েছেন ৮৬৯ ভোট।গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।রাজবাড়ী–১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী কেরামত আলীকে (নৌকা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।রাজবাড়ী–২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জিল্লুল হাকিম (নৌকা)।টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। মাদারীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মোতাহার হোসেন চৌধুরী সিদ্দিক পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮২৬ ভোট।মাদারীপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাজাহান খান। তিনি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম নুরুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট।চট্টগ্রাম বিভাগচট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।খাগড়াছড়ি আসনে বেসরকারি ফলাফলে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯’শ ৩৮ ভোট।নোয়াখালী–৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।চাঁদপুর–১ (কচুয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের ড. সেলিম মাহমুদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।বান্দরবান (৩০০ নং) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে হ্যাট্রিক জয় পেলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭টি। আনিসুল হকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান' ভোট পেয়েছেন ৬৫৮৬। তিনি 'আম' প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ফুলের মালা' প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪৫৭৪ ভোট। দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে গড় ভোট পড়েছে ৫৮.১৩ শতাংশ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।সিলেট বিভাগসিলেট ৪ আসনে নৌকা প্রতীকে দুই লাখ পাঁচ হাজার আটশো আটানব্বই ভোট পেয়ে ৭ম বারের মত বিজয়ী হয়েছেন ইমরান আহমদ।সিলেট-৬ আসনে চমক দেখিয়ে ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।সুনামগঞ্জ–৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে বড় ভোটের ব্যবধানে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।মৌলভীবাজার–৪ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস শহিদ।হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব‍্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ‍্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।সুনামগঞ্জ -২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ভোট।সুনামগঞ্জ -৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।রাজশাহী বিভাগরাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারি ভাবে সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।রাজশাহী–২ (সদর) নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে হারালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন। তিনি ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা) ৭৯ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ট্রাক) ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা) ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) মো. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ–৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আব্দুল ওদুদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর–১ (লালপুর–বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আবুল কালাম আজাদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর–২ (সদর–নলডাঙ্গা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল।নাটোর–৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২টি এবং ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮টি ভোট।পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট। পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ফিরোজ কবির ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।পাবনা ৪ ( ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।বরিশাল বিভাগবরিশাল-১ আসন (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।বরিশাল–২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল অব জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।পটুয়াখালী–১ (সদর–মির্জাগঞ্জ–দুমকী) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।পটুয়াখালী -২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।পটুয়াখালী–৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম শাহজাদাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।পটুয়াখালী–৪ (কলাপাড়া–রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিববুর রহমানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ১ হাজার ৬৫৩ ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীক নিয়ে মোঃ আলমগীর পেয়েছেন ১ হাজার ৫১১ ভোট।ঝালকাঠি -১ ( রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট।ময়মনসিংহ বিভাগশেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।শেরপুর–২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন তিনি।শেরপুর–৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম।রংপুর বিভাগরংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।রংপুর–৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে এবারের নির্বাচনে একমাত্র তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।রংপুর–৪ (কাউনিয়া–পীরগাছা) আসনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহার হোসেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পান।লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫০০ ভোট।লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০ ভোট।নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। আসাদুজ্জামান নূর এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নীলফামারী-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী) জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৮৮ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপফুল প্রতীক) আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার ১ লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পাটির প্রার্থী (লাঙ্গল) মো. পনির উদ্দিন আহমেদ ভোট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ টি ভোট।কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক গবা পান্ডে ৫৩ হাজার ৩ শত ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য।( ট্রাক প্রতীক) মো. আক্কাছ আলী সরকার ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ টি ভোট।কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী বিপ্লব হাসান ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল) ১২ হাজার ৬৮৪ টি ভোট।দিনাজপুর–২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ভোট।দিনাজপুর–৪ আসনে চতুর্থ বারের মতো বিজয়ী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হলেন শিবলী সাদিক। নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক এক লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন। মোট ১০৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাজহারুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২শ ৩৪ ভোট।গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১১৪টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি) ৬৬০৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামিম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪৩৪৯১ ভোট।গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে কেন্দ্রে ১১৪টি। স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী (ট্রাক) শাহ সারোয়ার কবীর ৬৪১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৬১০৩৭ ভোট। গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে ১৩৪ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা) ৫৭১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬৩৮২ ভোট।গাইবান্ধা-৪(গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৩৯ কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ২০১১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী(ট্রাক) পেয়েছেন ২৭৪৫০ ভোট।গাইবান্ধা-৫(সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ১৪৫টি কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ১০৭৩৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বি বুবলী(ট্রাক) ৬৩৫২৬ ভোট পেয়েছেন। খুলনা বিভাগখুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬২ ভোট। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।খুলনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫০ ভোট।ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট। মেহেরপুর-১ ( সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৩০৩টি। ফরহাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন । মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ আসন থেকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।মেহেরপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম নাজমুল হক সাগর । তিনি ৭২৭২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫৯৩ ভোট।সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।যশোর-১ (শার্শা) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন। এনামুল পেয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।যশোর–৬ (কেশবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৭টি । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700639,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪," কুমিল্লায় স্বতন্ত্রের কাছে ধরাশায়ী আ.লীগের ৪ এমপি, ৭টিতে নৌকার জয়"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বর্তমান চার এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। বাকি সাতটি আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখের দুই প্রার্থী সহ বর্তমান পাঁচ এমপি জয় পেয়েছেন। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রগুলো থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জানা গেছে, কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে সাতটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও চারটিতে আওয়ামী লীগ ঘরনার চার স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বাকি সাতটি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যার পর কুমিল্লা টাউন হলে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে ১১টি আসনের ফলাফল আসতে শুরু করে। রাতে বেসরকারিভাবে এসব ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন তারা হলেন কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের সেলিমা আহমাদ মেরী, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের এডভোকেট আবুল হাসেম খান। রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ওই চারটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় প্রার্থীদের। ভোটের দিন সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আসন চারটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও দুপুরের পর থেকে ফিরে আসে ভোটের পরিবেশ। বিকেলে ফলাফল গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে চারটি আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে। আসন চারটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। আর ওইসব আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উল্লাস শুরু হয়। এদিকে কুমিল্লার যে সাতটি আসনে নৌকা জয় পেয়েছে সেখানেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী সমর্থক ও নৌকার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করেছে। বিশেষ করে চান্দিনা, দাউদকান্দি ভোটের মাঠের উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটের লড়াইয়ে কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমানে এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী ধরাশায়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদের কাছে। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে ভোটের লড়াইয়ে হেরে গেলেন ওই আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন।কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগ করা দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছে। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আবুল হাসেম খান বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের কাছে। এদিকে কুমিল্লার সাতটি আসনে বড় জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের নতুন মুখের দুই প্রার্থী সহ বর্তমান পাঁচ এমপি। তারা হলেন - কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের নতুন মুখ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কুমিল্লা-৬ (সদর, সিটি কর্পোরেশন) আসনের বর্তমান এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের বর্তমান এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের নতুন মুখ আবু জাফর মোহাম্মদ সফিউদ্দিন, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ,লালমাই) আসনের বর্তমান এমপি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এবং কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের বর্তমান এমপি ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700638,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্বাচিত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে লাঙ্গলকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকার আসনে ঘোষিত ফলাফলের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে তিনি জয়লাভ করেছেন।রবিবার (৭ জানুয়রি) রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির খোরশেদ আলম খুশু পেয়েছেন ২ হাজার ২১৯ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপির (আম) প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৫৬১ ভোট। তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) প্রার্থী নাঈম হাসান পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট। ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন) প্রার্থী আতিকুর রহমান নাজিম পেয়েছেন ২৩৭ ভোট। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (মোমবাতি) প্রার্থী মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম পেয়েছেন ৩৫২ ভোট।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700637,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার জয়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ (তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদর) আসনে নৌকা প্রতীক সহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তাদের মধ্যে নতুন মুখ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২২ জন। রিটানিং অফিসার ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম রাত সোয়া ১০ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700633,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনেই ফের নৌকার জয়," চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনেই আবারো নৌকার বিজয় হয়েছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় বেসরকারিভাবে তিনটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিন আসনের প্রার্থীদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা) ৭৯ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ট্রাক) ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা) ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) মো. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ (নৌকা) ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পায়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনএম প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (নোঙর) ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩৫ জন, মহিলা ভোটার হচ্ছেন ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ১ জন ভোটার। নির্বাচনে সংসদীয় ৩টি আসনে লড়েছেন ১৬ জন প্রার্থী। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700635,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, গাইবান্ধার ৫টি আসনে জয়ী হলেন যারা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১১৪টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি) ৬৬০৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামিম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪৩৪৯১ ভোট।গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে কেন্দ্রে ১১৪টি। স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী (ট্রাক) শাহ সারোয়ার কবীর ৬৪১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৬১০৩৭ ভোট। গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে ১৩৪ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা) ৫৭১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬৩৮২ ভোট।গাইবান্ধা-৪(গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৩৯ কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ২০১১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী(ট্রাক) পেয়েছেন ২৭৪৫০ ভোট।গাইবান্ধা-৫(সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ১৪৫টি কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ১০৭৩৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বি বুবলী(ট্রাক) ৬৩৫২৬ ভোট পেয়েছেন। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700645,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে সংসদ সদস্য হলেন ড. সেলিম মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে সংসদ সদস্য হলেন ড. সেলিম মাহমুদ। বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপকের চাকরির ১৬ বছর বাকী থাকতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য।সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ফলাফলের দিক থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড.সেলিম মাহমুদ (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর প্রার্থী মো. সেলিম প্রধান (চেয়ার) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭ শত ৩৮ ভোট।ভোটের শতকরা হার ৫০.১৮ শতাংশ। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৯ জন। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700646,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন রেজাউল চৌধুরী," কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে আবারো এমপি নির্বাচিত করে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীতেই আস্থা রাখলেন উপজেলাবাসী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী এই আসন থেকে এর আগেও একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাধ্যবাধকতা মেনে মাঝখানে একবার বিরতি পুনরায় তিনি নিশ্চিত জয়ের আশায় স্বতন্ত্র হয়ে এই নির্বাচনে লড়েন। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। দৌলতপুর আসনের ১২৯টি কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ট্রাক প্রতীক ৮৯ হাজার ২৭৪ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র নাজমুল হুদা পটল পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১০৫ ভোট। রেজাউল হক চৌধুরী ৩৬ হাজার ১৬৯ ভোটের ব্যবধানে তাকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুই শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর চাপে পড়ে তৃতীয় অবস্থানে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্। নৌকা প্রতীকে সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ পেয়েছেন ৪৮ হাজারর ৯৬১ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন কেটলি প্রতীকে ৮ হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন। এদিকে ছোটখাট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে তরুণ ও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করা হলেও সেই আশঙ্কা ছাপিয়ে নির্বাচনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। দুয়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণের সময় বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মাঝেই রাতে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। নির্বাচনের সময় এখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫০ শতাংশের ওপরে ভোট পোল হয়েছে বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ জানিয়েছেন। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রথমবার নির্বাচিত হন। এবারের মতো ওই নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেয়নি। সেবার মহাজোট মনোনীত প্রার্থী তখনকার সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আফাজপুত্র নাজমুল হুদা পটলকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন। দৌলতপুর আসন থেকে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। অপর দলগুলোর প্রার্থীদের মধ্যে জাসদের শরিফুল কবির স্বপন (মশাল) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫৮ ভোট, জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার জামিল জুয়েল (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১ হাজার ৩১৩ ভোট, ওয়ার্কার্স পাটির মজিবুর রহমান (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৫৮১ ভোট, তৃণমুল বিএনপির আনিছুর রহমান (সোনালী আশ) পেয়েছেন ৬০৭, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সেলিম রেজা (ডাব) পেয়েছেন ডাব ২৭৪ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাজেদুল ইসলাম (ছড়ি) পেয়েছেন ৮৪ ভোট। এই সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ২৮৭ জন। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৬। এরমধ্যে বাতিল হয়েছে ৪ হাজার ২০২ ভোট। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700642,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ফরিদপুর-২ আসনে আ.লীগের লাবু ফের নির্বাচিত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর- ২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ফের নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তার মা প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। নগরকান্দা ও সালথা এই দুটি উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তিনজন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি উপজেলার ১১৫টি কেন্দ্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সব-কটি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী ৮৭১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ঈগল পাখি মার্কায় পেয়েছেন ৮৫২৩২ ভোট। এছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এডভোকেট জয়নুল আবেদিন বকুল মিয়া বটগাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৬২ ভোট। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700641,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, এবার বিরোধীদল হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা," সারাদেশে প্রাপ্ত ভোট গণনা চলছে, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সম্ভাব্য বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেঃ বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ পরবর্তী সংসদে বিরোধী দল হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এ সম্ভাবনাকে বর্ণনা করেছেন ‘আওয়ামী স্বতন্ত্র লীগ হবে বিরোধী দল’।রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রক্সি বিরোধীদল হবে এবং আওয়ামী স্বতন্ত্র লীগ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিরোধীদল হবে।” ভোটের ফারাক ব্যাপক হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যার প্রার্থীর যেখানে ক্ষমতা বেশি ছিল সেখানে যথেচ্ছভাবে ভোট প্রয়োগ করা হয়েছে। কোথাও কোন প্রতিদ্বন্দিতার সুযোগ ছিল না। এপর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ৪৯টি আসনে। আর জাতীয় পার্টি এখনো পর্যন্ত ২৬টি আসন বাদে বাকি আসনগুলোতে ৫-৬ হাজারের বেশি ভোট পায়নি। বরং স্বতন্ত্র পার্টির প্রার্থীরা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশ্লেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ""আর যারা অন্যান্য দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন যেমন জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স এবং জাসদ, এদের আশা ছিল যে এদের জিতিয়ে আনার দায়িত্ব ছিলো আওয়ামী লীগেরঃ “কিন্তু তারা এখন বলবে যে, আমাদের গাছে তুলে মই সরিয়ে নিয়েছেন। আমি বলবো যে, অনেক রাজনীতিবিদ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদেরকে ক্লাউন হিসেবে প্রমাণ করে ফেলেছেন।”",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700608,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাগেরহাট-২ আসনে দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী শেখ তন্ময়,"বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয় বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।বিভিন্ন কেন্দ্র, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই আসনের দুটি উপজেলার ১২৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।এই নিয়ে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এই আসনে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ১৪১ টি ভোট এবং ৬ জন প্রার্থী ছিলেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700649,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ৯৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন সাকিব," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান। এদিন সাকিব আল হাসান প্রথম ভোট দিলেন নিজের কেন্দ্র দরি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সকাল ৮টায় ভোট দেন তিনি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৪৪৪টি। যা মোট ভোটের ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে সাকিব পেয়েছেন ১ হাজার ৪০৭টি ভোট। সে হিসাবে বাক্সে জমা পড়া ব্যালটের ৯৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।এই ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮১৮ জন। যেখানে নারী ১ হাজার ৫২৫ ও পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৩৯৩ জন।মাগুরা-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাকিব। নিজের ভোটকেন্দ্রটি বাড়ি থেকে হাঁটা পথের দূরত্ব।প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই নির্বাচিত হলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অধিনায়ক। মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700648,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,"ঢাকায় আওয়ামী লীগের ১৭, ৩ আসনে স্বতন্ত্র"," ঢাকা জেলার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৭টিতেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অন্য ৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। যদিও তারা সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা।ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সালমা ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৮৬ ভোট পান।ঢাকা-২ আসন থেকে কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট। ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোটে । নিকটতম জাতীয় পার্টির মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।ঢাকা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানমকে হারিয়ে জিতেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট, অন্যদিকে সানজিদা পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।ঢাকা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান মোল্লা ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী হারুনুর রশিদ। ঢাকা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম মিনার প্রতীকের রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট।ঢাকা-৭ আসনে নৌকার সোলায়মান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম জাপার সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।ঢাকা-৮ আসনে নৌকার আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম জাপার জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট। ঢাকা-৯ আসনে নৌকার সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম জাপার কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।ঢাকা-১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ নৌকায় ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার কাছে পরাজিত হয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।ঢাকা-১১ আসনে নৌকার ওয়াকিল উদ্দিন ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম জাপার প্রার্থী শামীম আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।ঢাকা-১২ আসনে নৌকায় ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার নিকটতম জাপার প্রার্থী খোরশেদ আলম পেয়েছেন ২ হাজার ২১৯ ভোট।ঢাকা-১৩ আসনে নৌকার জাহাঙ্গীর কবির নানক ৯০ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম তরীকত ফেডারেশনের কামরুল হাসান পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৯ ভোট।ঢাকা-১৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিজয়ী হয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯১৪।ঢাকা-১৫ আসনে নৌকার কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম জাপার শামসুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।ঢাকা-১৬ আসনে নৌকায় ৬৫ হাজার ৬৩১ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট।ঢাকা-১৭ আসনে নৌকার মোহাম্মদ আলী আরাফাত ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম হিসেবে ১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন বিকল্পধারার আইনুল হক।ঢাকা-১৮ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট।ঢাকা-১৯ আসনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান তৃতীয় হয়েছেন। এই আসনে বিজয়ী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।ঢাকা-২০ আসনে নৌকা নিয়ে বেনজীর আহমেদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন ভোট পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩টি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700647,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নীলফামারী-২ আসনে টানা ৫ম বারের মতো এমপি হলেন আসাদুজ্জামান নূর," মো. রাজীব চৌধুরী রাজু, নীলফামারী থেকে: নীলফামারী-২ আসনে আবারও জয়ী হলেন টানা ৫ম বারের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে নৌকা প্রতিকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩শত ৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতিকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬শ ৮৪ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলী চৌধুরী লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ ৪৩টি ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী ডাব প্রতিকে পেয়েছেন ৭৩২ভোট।উত্তরের জেলা নীলফামারীতে আগাম শীতে এ অঞ্চলের মানুষ অনেকটা কাবু হলেও, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাশকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দীর্ঘ লাইনে জমায়েত হতে থাকেন নীলফামারী-২ আসনের সাধারণ ভোটাররা। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকারের মাধ্যমে বেছে নেন এ আসনের জনপ্রতিনিধিকে।এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর টানা ৫ম বারের মত সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় বিজয় মিছিল করে আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700644,ভোরের কাগজ,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,আনিসুল হকের হ্যাট্রিক," ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী তিনি এবারো দুই লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ শাহীন ভোট পেয়েছেন ৬৫৮৬। শাহীন ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ জামানত হারিয়েছেন।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি দুইবারই মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পান। এবারো মন্ত্রী সভায় ঠাঁই পাবেন বলে তার কর্মী সমর্থকরা ধারণা করছে।রবিবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তার ভোট প্রয়োগ করেন। ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সারাদেশের মানুষ স্বতস্ফত ভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। তার মানে জনগণ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাসকে প্রত্যাখান করেছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700595,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪," ফরহাদের হ্যাটট্রিক, নতুন মুখ নাজমুল"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত দলীয় প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেছিলেন ফরহাদ। ৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৪০৩ টি ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ টি ভোট, মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৭ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে মেহেরপুর ১ আসন। ১১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।অন্যদিকে মেহেরপুর ২ আসনে প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এএসএম নাজমুল হক। গাংনী উপজেলা নিয়ে ২ আসন। ৯০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতিক নিয়ে নাজমুক হক পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট, মোট ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৯ জন। এ আসনে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700592,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, সাবের হোসেন চৌধুরী বিজয়ী," ঢাকা-৯ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৯৬টি। এই নিয়ে তিনি টানা চারবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হলেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট। রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ভোট গননা শেষে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।বিজয় ঘোষণার পর তার সবুজ মতি ভবনে পরিবারকে সাথে নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এবং সবার সঙ্গে কুলশ বিনিময় করেন। সেসময় তিনি তার দেওয়া কথা রাখার চেষ্টা করবেন বলে জানান। জনগণের পাশে থেকে আসন্ন দিনগুলোতে কাজ করবেন বলেও সবাইকে আসস্থ করেন।এবারের নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করেছেন ১৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ৪৩৬ জন।প্রসঙ্গত, এছাড়া নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুবরণ করায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। ফলে এবার ২৯৯ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700607,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বিপুল ভোটে বিজয়ী শাজাহান খান," PauseUnmuteClose PlayerUnibots.inরবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গণনা শেষে স্থানীয় সূত্রের তথ্যমতে শাজাহান খান পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম নুরুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ পুরুষ, আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। রবিবার ভোটে সারা দেশের ২৯৯ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700606,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নিক্সনের হ্যাটট্রিক বিজয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি হ্যাটট্রিক বিজয় ছিনিয়ে নিলেন।এই আসনের ১৮৯ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নিক্সন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের কাজী জাফর উল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700599,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত পাপন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সারা দেশে একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই কার্যক্রম। এরপর শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের ১৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ভোটগণনা শেষে বিজয়ী হয়েছেন পাপন। ১৪২ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫টি। পাপনের নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি থেকে নূরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৫টি ভোট। ,Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700596,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বেসরকারীবাবে এ কে আজাদ বিজয়ী," ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে একে আজাদকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেণ এ কে আজাদ। তার প্রতিদন্দী ছিলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক।রোববার (৭ জানুয়ারি) ফরিদপুরে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে হয়।ফরিদপুর-৩ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৪টি। ঈগল প্রতীকের এ কে আজাদ পেয়েছেন ১১০,৩৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৫৫,৯৪৪ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ০৪ হাজার ৩০০ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ০২ হাজার ৭৬৭ জন ও নারী ভোটার২ লাখ ১ হাজার ৫৩০ জন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৪টি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700597,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্যকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সূত্র জানায়, এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৪ টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।মতিয়া চৌধুরী সাবেক কৃষিমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারিতে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700598,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, কক্সবাজার-২ আসনে নৌকার জয়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে ৯৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনএমের নোঙর মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ শরিফ বাদশা ৩৪৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।৬২৯০২ ভোটের ব্যবদানে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক।উল্লেখ্য, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭ জন। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce4055533,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে: ওবায়দুল কাদের,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রবিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা হলেন বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়-ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রােকে শক্তিশালী করবে।’বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce4034930,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,আগামীকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন শেখ হাসিনা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগামীকাল সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ রবিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে গণভবনে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী, এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018c45cd404a,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিলেন শেখ রেহানা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। ব্যালট পেপারে ফুঁ দিয়ে বক্সে ফেলেন তিনি। তবে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।আজ রবিবার বেলা ১২টার দিকে গুলশানে ভোট দেন শেখ রেহানা।এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেনএরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না, গণতান্ত্রিক ধারা চায় না বলেই তারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করছে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, ভোট দেবে এটাই বড়। নৌকার প্রতি জনগণের আস্থা আছে বলেই দেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।’তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যেও ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ যে নির্বাচনটা আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি সেজন্য আমি দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পাঁচ বছর পর একটি নতুন সরকার আসবে। জনগণ তার ইচ্ছামত ভোট দেবে। আর সেই ভোট দেবার পরিবেশটা আমরা তৈরি করতে পেরেছি। যদিও বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, মানুষকে বাঁধা দেওয়া, বোমা হামলা, ককটেল মারা এসব জঘন্য কাজ যারা করেছে আমি এটুকুই বলব তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ভোটের পক্ষে থাকার কথা নয়, তাদের উত্থান সন্ত্রাসের মাধ্যমে। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। নৌকার জয় হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম আওয়ামী লীগ।’আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিজ ঘরে ক্ষমতার জন্য যারা সন্ত্রাস করে তারা জনগণের রাজনীতি করে না। গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে যা যা করণীয় তা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’এ সময় শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করেন। তিনি সবাইকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce44fb1d5,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিজয় মিছিল নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন শেখ হাসিনা,"নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্দেশনার কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরে বিজয় মিছিল বা আত্মকলহে লিপ্ত না হতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারেন। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কোঅপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেজন্য শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যে তথ্য পেয়েছি তাতে নিশ্চিত বলা যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধিকাংশ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হচ্ছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনও ভয়ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে।’আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের। বিদেশি সাংবাদিকরা, আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষ করেছেন এই নির্বাচন।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce42e2b30,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,"নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি), রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা। ভোটগ্রহণ শেষে আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।’তিনি বলেন, ‘আমাকে দুইবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে আসা কি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আসার জন্য আপনার ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না? ‘‘না’’। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তিন মাস আগে আমি যখন জিম্বাবুয়েতে ছিলাম, তখন আমন্ত্রণপত্র পাই। আমি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে এসেছি, গাজার মতো সেখানে যুদ্ধ চলছে না।’আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘আমাদের দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও প্রতিবেদন জমা দেব। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়। আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজকে যা দেখলাম। এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখলাম। এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি।’আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও জানি না কত শতাংশ ভোট পড়েছে। সকালে যখন আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, তখন ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মানুষ আশা করছিল উপস্থিতি বাড়বে। যদি বাধ্যবাধকতা না থাকে, আপনি কেন্দ্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কেউ আপনাকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে না। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের দেশে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন। আমি জর্ডানে অনেক নির্বাচন দেখেছি, সেখানে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং সেটা ভালো নির্বাচন ছিল। এসব বিষয় রাজনীতিক ও গবেষণা সংস্থাগুলো দেখবে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce4bcefde,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,নৌকায় উঠে ডুবলেন জাসদের ইনু,"কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তার আসনে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন। আজ রবিবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে জয়লাভ করেন ট্রাকের প্রার্থী।গত তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। ট্রাক প্রতীক ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন কামারুল আরেফিন। এর ফলে ২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন ইনু।আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর মোট ১৬১ কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনা শেষে রাত ৯টার দিকে এ ফল জানানো হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce539ac21,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2024,কারা কত আসন পেল,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।রবিবার রাতে সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে ২১৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, ৯টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী, ৫৬টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্যরা একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিচ্ছিন্ন কিছু বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়া সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। শুরুতেই ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভোট দেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে শান্তিনগরে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3b24ec6,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,"কোন বিভাগে কত ভোট পড়েছে, জানাল ইসি","দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রথম সাত ঘণ্টায় সারা দেশে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ার এই হিসাব নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।জাহাংগীর আলম জানান, ঢাকা বিভাগের ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ২৬ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২৬ শতাংশ এবং বরিশাল বিভাগে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।ইসি সচিব বলেন, ‘দুয়েকটা উপজেলার কেন্দ্রের তথ্য হালনাগাদ নাও হতে পারে, সে কারণে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’তিনি আরও জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন অভিযোগে ৭টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে। জাল ভোট দেওয়া ও জাল ভোট দিতে সহায়তায় করায় ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।এর আগে ভোটের প্রথম চার ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।এরআগে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অবশ্য আশা প্রকাশ করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ভোটের হার ৫০ শতাংশ ছাড়াতে পারে।উল্লেখ্য, কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এ ছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৭ শতাংশ, বরিশালে ৩১ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৬ ভাগ, ময়মনসিংহতে ২৯ ভাগ ও রংপুর বিভাগে ২৬ শতাংশ।শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতারের নির্দেশরোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটে। ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে, পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়।নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, সকালে একদল কর্মী নিয়ে কেন্দ্রটিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারেন। এ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্রে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। পরে ঘটনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলমকে জানানোর পরপরই তিনি ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেন।পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিইসি বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পরপরই আমাকে জানাবেন।’নরসিংদী-৪ আসনে ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নে ১৫৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৮২৭ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।সারাদেশে বাতিল হলো যেসব কেন্দ্রের ভোটদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে নানা আলোচনার মধ্য অন্যতম একটি হচ্ছে এবার সংসদে বিরোধী দল হবে কোন দল। প্রার্থীর ভোট বর্জনবাইরে ব্যাপক উপস্থিতি, ভেতরে ফাঁকানিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা-৫ আসনের ডেমরার এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় ও সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি হাতেগোনা। কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা গেলেও ভিতর অনেকটাই ফাঁকা।ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজলের অভিযোগ, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না নৌকার প্রার্থীরা। একই সঙ্গে এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এ দুই কেন্দ্রের বাইরে নৌকা, ট্রাক ও ঈগলের সমর্থকদের ভিড়। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। ভোটারদের অপেক্ষায় পোলিং অফিসাররা।পুরুষ ভোটারকেন্দ্র এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৫৩ জন। বেলা ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় সাতটি বুথে পড়েছে ৩৫১ ভোট। নারী ভোটারকেন্দ্র পাশের সারুলিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৬ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ৭০টি, বাকি দুই ঘণ্টায় বেড়ে ২৭২ ভোটে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজল আমাদের সময়কে বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহু লোক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। কারণ, আমার ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্ট থাকলেও ভোটার ভেতরে আসতে না পারলে লাভ কী? আমার সামনেই আমার এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। অধিকাংশ কেন্দ্রে তাই হচ্ছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম এ ছাত্তার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কাউকে ভয়ভীতি দেখানোর কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট কম পড়ছে। মজিবুর রহমান বলেন, যারা ভোট দেওয়ার দিয়েছে। ধীরে ধীরে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিকঠাক আছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম মনে হচ্ছে।এদিকে এ আসনে ১৩ জন প্রার্থী থাকলেও পোলিং অফিসার দেখা গেছে মাত্র তিন প্রার্থীর। ট্রাক ছাড়াও নৌকা ও ঈগলের পোলিং অফিসার রয়েছে। বাকি প্রার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ আসন ডেমরার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। তাদের ভোটগ্রহণ চলছে ১৮৭টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৮৯টি ভোটকক্ষে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2c847ab,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,ঢাকা-৫ আসনে ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতি,"ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা-৫ আসনের ডেমরার এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় ও সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি হাতেগোনা। কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা গেলেও ভিতর অনেকটাই ফাঁকা।ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজলের অভিযোগ, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না নৌকার প্রার্থীরা। একই সঙ্গে এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এ দুই কেন্দ্রের বাইরে নৌকা, ট্রাক ও ঈগলের সমর্থকদের ভিড়। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। ভোটারদের অপেক্ষায় পোলিং অফিসাররা।পুরুষ ভোটারকেন্দ্র এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৫৩ জন। বেলা ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় সাতটি বুথে পড়েছে ৩৫১ ভোট।নারী ভোটারকেন্দ্র পাশের সারুলিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৬ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ৭০টি, বাকি দুই ঘণ্টায় বেড়ে ২৭২ ভোটে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজল আমাদের সময়কে বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহু লোক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। কারণ, আমার ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্ট থাকলেও ভোটার ভেতরে আসতে না পারলে লাভ কী? আমার সামনেই আমার এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। অধিকাংশ কেন্দ্রে তাই হচ্ছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম এ ছাত্তার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কাউকে ভয়ভীতি দেখানোর কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট কম পড়ছে। মজিবুর রহমান বলেন, যারা ভোট দেওয়ার দিয়েছে। ধীরে ধীরে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিকঠাক আছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম মনে হচ্ছে।এদিকে এ আসনে ১৩ জন প্রার্থী থাকলেও পোলিং অফিসার দেখা গেছে মাত্র তিন প্রার্থীর। ট্রাক ছাড়াও নৌকা ও ঈগলের পোলিং অফিসার রয়েছে। বাকি প্রার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ আসন ডেমরার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। তাদের ভোটগ্রহণ চলছে ১৮৭টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৮৯টি ভোটকক্ষে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce50faa0b,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2024,দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাল বিএনপি,"জনগণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রত্যাখান করেছে করেছে দাবি করে তাদের অভিনন্দন জানাল বিএনপি। আজ রবিবার রাতে বিএনপির পক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে জনগণকে এ অভিনন্দন জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বিবৃতিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অবৈধ সরকারের তোড়জোড়ে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে কার্যকর আন্দোলন চালিয়ে আসছে।’তিনি বলেন, ‘জনসমর্থনে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও শেখ হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্রে নিজের ‘‘সেটআপে’’ জাতীয় নির্বাচন সম্পাদন করতে অনঢ় থাকেন। ফলশ্রুতিতে আন্দোলনরত অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা ও দাবিকে অগ্রাহ্য করে তামাশার নির্বাচন করতে উঠেপড়ে লাগে।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়। নেমে আসে স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন, বন্দী করা হয় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। তবে বিরোধীদলগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে সংহতি জানায় সংগ্রামী জনগণ। ফলে আজকের জালিয়াতির নির্বাচন দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখান করে জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় নিশ্চিত হয়।’বিবৃতিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকের জালিয়াতির নির্বাচনে যেটি উন্মোচিত হয়েছে তা হলো বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দীপনাকে সম্পূর্ণরুপে অপমান করা। নির্বাচন বলে দাবি করে শাসকদল আত্মশ্লাঘা লাভ করলেও ভোটকেন্দ্রের চরম অনিয়ম ও সহিংসতা ঢাকতে পারেনি তারা। এগুলো স্পষ্ট হয়েছে যারা সরকারের গোপন আশীর্বাদ পায়নি সেসব প্রার্থীদের জালিয়াতির অভিযোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের হিড়িকে।’তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ছবি ও ভিডিওতে নজিরবিহীন ভোট কেলেঙ্কারির খবর প্রতি মুহূর্তে প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকার বাইরেও জনশূন্য কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসতে পারেনি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও দলীয় ক্যাডারদের নানা কারসাজি, হুমকি ও কাকুতি-মিনতি সত্বেও।’বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করা সত্বেও দেশের প্রতিটি আসন ও কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ যেভাবে সংঘবদ্ধভাবে কারচুপি ও সংঘাত করেছে, একের পর এক যেসব ছবি, ভিডিও ও তথ্য আমরা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি তাতে এটিই পুনঃপ্রমাণিত, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।’বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীন ও দৃঢ় না হলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতি সাধিত হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার প্রমাণ। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হওয়ায় তারা নির্বাচনের নামে ছিনিমিনি খেলেছে। সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কাউকে দেখেননি। অথচ আরেকজন নির্বাচন কমিশনার বললেন ৫১ শতাংশ ভোট পড়বে।’তিনি বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শুরু থেকে কয়েক ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয় ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুলিশ প্রধান বলেছেন, ‘‘যথেষ্ট ভোটার উপস্থিতির সংবাদ পাচ্ছি।’’ এসব বক্তব্য আগাম প্রস্তুতি বলে মনে হয়, এগুলো নির্বাচন শেষে বেশি ভোট ঘোষণা করার পটভূমি।’রিজভী বলেন, ‘সব স্বৈরাচারের রীতিই হলো জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ভোটে ভোটার বেশি দেখানো। গণবিরোধী সরকারের পারিষদবর্গ ও আজ্ঞাবাহী রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে দেশের ১২ কোটি ভোটারের প্রায় সবাই একযোগে এই প্রহসনমূলক নির্বাচনকে বর্জন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের এই বীরোচিত অবস্থান মূলতঃ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি সমূহের চলমান সংগ্রামের প্রতি স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য গণদাবির সুদৃঢ় প্রতিফলন।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে যেভাবে ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি তার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2ad4617,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,"না আসলে একটা ভোট নষ্ট হইতো, মায়া লাগে","ঢাকা-৭ আসনের ভোটার রাশিদা বেগম। বয়স পয়তাল্লিশ। একমাস আগেই কোমর এবং হাটু অপারেশন হয়েছে। এক হাতে স্ট্রেচার নিয়ে এসেছেন ঢাকা সাত আসনের ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে।অসুস্থ অবস্থায় ভোট দিতে এসেছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চল্লিশ বছর থেকে কামার বাগ এলাকায় আছি। প্রতিবারই ভোট দিতে আসি। এবারে না আসলে তো একটা ভোট নষ্ট হইতো। মায়া লাগে একটা ভোট নষ্ট হইতে দিতাম না এজন্য অসুস্থ অবস্থায় ভোট দিতে চলে আসছি।’সঙ্গে আসা রাশিদা বেগমের ছেলে বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ তারপরও জেদ ধরেছেন ভোট দিতে আসবেন। তাই নিয়ে আসলাম এখন ভোট দিয়ে আম্মা খুশি।’একই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন দুজন নতুন ভোটার মরিয়ম এবং আশা। প্রথমবার ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। জানতে চাইলে মরিয়ম বলেন, ‘প্রথমবার ভোট দিলাম ভালো লাগছে খুব।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce55f2284,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হচ্ছেন ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়,"বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই নারায়নগঞ্জের পাঁচটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি সংসদীয় আসনের ৪টিতে নৌকা ও একটিতে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে। সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে নারায়নগঞ্জ ৪ ও ৫ সংসদীয় আসনে। দুটি আসনে মধ্যে ৪ সংসদীয় আসনে একেএম শামীম ওসমান নৌকা প্রতীক নিয়ে নৌকা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুরাদ হোসেন গোলাপ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেএম সেলিম ওসমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী এএমএম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।নারায়নগঞ্জ-১ আসনে সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি মো. শাহজাহান ভূইয়া পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট, সোনালী আঁশ তৈমুর আলম খন্দকার তৃনমূল বিএনপি থেকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। নারায়নগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে আব্দুল্লাহ আল কায়সার পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজর ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের লিয়াকত হোসেন খোকা পেয়েছেন ৩৫ হাজর ৮১১ ভোট।এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবু পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের আলমগীর সিকদার লোটন পেয়েছেন ৭ হাজার ২৫৬ ভোট। এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের দুই ভাই। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে নির্ভর ছিলেন এই দুই প্রার্থী। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী শামীম ওসমান ২০১৪ সাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা তিনবার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ নির্বাচনেও শামীম ওসমান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। অপরদিকে, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির সাংসদ এটিএম নাসিম উসমানের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তার ছোট ভাই ব্যবসায়িক নেতা সেলিম ওসমান। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পুনরায় জয়লাভ করেন সেলিম ওসমান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করলেন সেলিম ওসমান। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নারায়নগঞ্জ ডিসি অফিসে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারে তার লড়াই হবে ভুমিদস্যূ, মাদক এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে। এ লড়াইয়ে তিনি গণমাধ্যম ও নারায়নগঞ্জের সাধারণ মানুষকে পাশে চান।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53aebd32,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2024,আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ বিজয়,"নবম, দশম, একাদশ এবং সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মিলিয়ে টানা চারবার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। কোনো দলের টানা চার মেয়াদে জয় দেশের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক। কয়েকটি আসনে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সার্বিক অর্থে গতকাল রবিবার শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।বিএনপি এবং এর সমমনা ১৬টি দলের ভোট বর্জনের পাশাপাশি হরতাল ডাকার মধ্যেই গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রাতে সর্বশেষ প্রাপ্ত বেসরকারি ফলে দেখা গেছেÑ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ১৫১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টির লাঙল জিতেছে ১০টি আসনে এবং আওয়ামী লীগের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পেয়েছে ১টি আসন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২০টি আসনে। এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকাপ্রার্থীর বিপক্ষে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও প্রায়প্রত্যেকেই আওয়ামী ঘরানার। শুধু তা-ই নয়, তাদের অনেকেই দলটির পদধারী নেতা।ইসি জানিয়েছে, সারাদেশে ভোট পড়ার গড় হার ৪০ শতাংশ। এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৮.৫০ শতাংশ এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়ার হিসাব জানিয়েছিল ইসি। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত তাগাদার মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের ভোটে বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেনি। ভোট শেষে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও গতকাল বলেছেন, অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা অপপ্রচার চালিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। বিদেশি ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন।এদিকে বিএনপি বলছে, জনগণ নির্বাচন বর্জন করেছে। এ জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জনের ডাক সার্থক হয়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদও। রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সস্ত্রীক ভোটাধিকার প্রয়োগের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, পুরোপুরি সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখেছি ভোটকেন্দ্রগুলোতে। সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এ পর্যন্ত এসব নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দিনব্যাপী নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে বিষয়ে কমিশন সজাগ রয়েছে।নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। ভোটগ্রহণ পরিদর্শন শেষে হোটেল সোনারগাঁয়ে সাংবাদিকদের সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস বলেন, ‘আমি যেটি দেখেছি সেটি হচ্ছেÑ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’পর্তুগাল থেকে আসা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাওলো কাসাকা গতকাল বলেন, ভোটকেন্দ্র ঘুরে ও বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে- সব কিছু ঠিক আছে। পুরুষদের চেয়ে নারীরা ভোটে বেশি আগ্রহী। কেবল ভোটার উপস্থিতি অনেক কম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা হবে। বাস্তবে সে রকম কিছু এখনো চোখে পড়েনি।বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তৎপর ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপরও সকালের দিকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল যৎসামান্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের সারি দেখা গেছে। আবার ঢাকা ও দেশের বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটলেও এবার একজন নিহতের খবর জানা গেছে। এ ছাড়া কিছু আসনে কারচুপি, জালভোট প্রদান ও পেশিশক্তি প্রয়োগের অভিযোগ তুলে মাঝপথে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।এদিকে সারাদেশে ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৭টি কেন্দ্রের ভোট; স্থগিত করা হয়েছে ৬ জেলার ৯টি আসনের ২১ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, জালভোট পড়ায় এবং ভাঙচুর হওয়ায় এসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, ছোটখাটো ৩০-৩৫টি জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আমাদের পুলিশ অফিসারের গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল ফোটানো হয়েছে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। জালভোট দেওয়া ও সহায়তা করায় এদিন ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি।গতকাল সকালে মুন্সীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। নির্বাচন কমিশন বলছে, এ হত্যাকা-ের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। পরে ওই বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্র দুটির ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। নরসিংদী-৪ আসনের একটি কেন্দ্রে জোর করে ঢুকে ব্যালটের ১২টি বইয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে; তাতে দুজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নৌকার কর্মীদের ধাওয়ার মুখে পড়েন। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত দুজন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক হয়। ময়মনসিংহে একটি কেন্দ্রে ‘প্রকাশ্যে সিল মারা’ এবং ‘নৌকার পক্ষে’ কাজ করার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। কুমিল্লা-৭ আসনের চান্দিনা উপজেলায় তিনটি ভোটকেন্দ্রে আগে থেকে নৌকায় সিল মারা ব্যালট জব্দ করা হয়; পরে সেগুলো বাতিল করা হয়। যশোরের একটি ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার সদস্য আহত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের রায়গঞ্জ উপজেলায় অন্যদের ভোট দিতে আসা দুজনকে আটকের পর ৬ মাস করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৫৫টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন যশোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। মেহেরপুরে কেন্দ্রে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে ৭ দিনের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোট শুরুর আগে এবং ভোট চলার সময় রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রের বাইরে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুসহ চারজন। অন্তত দুই ডজন আসনে বিরোধী দল লাঙলের প্রর্থীরা ভোট প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।ভোটকেন্দ্রগুলোতে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রাখার বিষয়ে বারবার জোর দিলেও ভোটের সকালে তেমনটি দেখেননি বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে (সব প্রার্থীর) পোলিং এজেন্ট নেই। আসলে মনে হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ প্রার্থী যারা, অনেকেরই বোধহয় সে সামর্থ্য (পোলিং এজেন্ট দেওয়ার) নেই, যা আমি এক্সপেক্ট করেছিলাম।নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশা ছিল, তারচেয়ে কম উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এরপরও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান হলে আরও ভালো হতো।তিনি আরও বলেন, একটু ভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচনটা হলো। অতীতের অন্য নির্বাচনগুলোর চেয়ে এবার জাতীয় নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নজরও বেশি ছিল।জালভোট : ৯ কর্মকর্তাকে শাস্তিভোটগ্রহণের সময় অনিয়মের কারণে সারাদেশে নয়জন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এর মধ্যে সাতক্ষীরা ও ময়মনসিংহে ৩ জন করে, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে একজন করে ভোট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার, প্রত্যাহার ও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন প্রিসাইডিং, দুই সহকারী প্রিসাইডিং ও চারজন পোলিং অফিসার।আসন সংখ্যা ৩০০ হলেও রবিবার ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনে নির্বাচনের কার্যক্রম বাতিল করেছে ইসি। ২৯৯ আসনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬৫ জন (নৌকা ২৭১)। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (লাঙল) ২৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের শরিক ওয়র্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপির ৬ জন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন।ভোটের মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত ছিল। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পর্যবেক্ষক এবার ভোটের মাঠে নজর রাখেন। নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় দুই হাজার ৩শ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53aed9d1,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2024,জনগণ সন্ত্রাস প্রত্যাখ্যান করেছে,"আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ভোট দেওয়া আনন্দের বিষয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আরও আনন্দিত সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে মানুষ ভোট দিচ্ছে। জনগণ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেটাই আজকে প্রমাণিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাস প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকের যেই ভোট সেই ভোট হচ্ছে গণতন্ত্রকে রক্ষার ভোট। ইনশা আল্লাহ বিজয়ী হয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গতকাল ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।আইনমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ গাড়িতে চরে, রিক্সায় চরে ভোট দিতে আসছে। হরতাল মানে এগুলো বন্ধ থাকার কথা। তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ হরতাল মানে না এবং হরতাল প্রত্যাখ্যান করছে।বিএনপি নির্বাচনে না এসে কোনো ভুল করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপিতে যারা গণতন্ত্রমনা আছে তারা নির্বাচনে না এসে অবশ্যই ভুল করেছে। কারণ তারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগত্যার পরীক্ষা দেয়নি। বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে এবং অসহযোগ আন্দোলনে অন্যায় ও অপরাধ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53aee1e5,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2025,এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্থান পাক,"কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্থান পাক। শান্তির নির্বাচন হোক। মানুষকে আরও উন্নত জীবনে নেওয়ার জন্য স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশা পূরণ হোক। গতকাল ধনবাড়ীতে তার নিজ গ্রাম মুশুদ্দি খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।সকাল ১০টায় তার ৯৪ বছর বয়সী মা রেজিয়া বেগম ও সহধর্মিণী শিরিনা আক্তার বানুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে ভোট প্রদান করেন তিনি। পরে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল-১ আসনের মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53af2c17,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2027,শেখ হাসিনার কৌশল সফল,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কৌশলী চাল সফল হয়েছে, এমন কথা বলা ভুল হবে না। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে সারাদেশে গড়ে ৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে এ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রাখেনি। তা ছাড়া নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অভিমতও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী এবং বর্তমান সরকারের মন্ত্রীও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। এটিও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দেয়। এখন দেখার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব পশ্চিমা দেশ নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল তারা কী ভূমিকা নেয়। অভ্যন্তরীণভাবে দেশবাসীর জন্য কৌতূহলের বিষয় হবে আগামী সংসদে বিরোধী দলের আসন কারা নেবে সে প্রশ্নের কী মীমাংসা হচ্ছে তা।এ লেখাটি যখন লিখছি তখনো ফলাফল সম্পূর্ণ হাতে আসেনি, তবে মনে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকছে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, তারা একজোট হয়ে স্বতন্ত্র দল নামে একটি দল গঠন করতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যায় ভারতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৫৯ সালে সেদেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারি গঠন করেছিলেন স্বতন্ত্রী পার্টি। তার সাথে ছিলেন বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ মিনু মাসানি, তরুণ রাজনীতিক পিলু মোদি প্রমুখ। গোপালাচারি মনে করতেন জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্রমেই বামপন্থি দলে পরিণত হচ্ছে। তাই তিনি মধ্য ডানপন্থি দল হিসেবে স্বতন্ত্র পার্টি গঠন করেছিলেন। দলটি ১৯৭৪ সন পর্যন্ত সক্রিয় ছিল, পরে ভারতীয় লোকদলের সঙ্গে একীভূত হয়। এদেশে অনেকের প্রত্যাশা হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের বিরোধী দলও হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাসে বিশ্বাসী ও তাতে দায়বদ্ধ। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে এদেশের স্বতন্ত্র দল এমন ভূমিকা পালন করতে পারে। এখানে হয়তো সমালোচনাটা হতে পারে যে বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্রমেই দক্ষিণপন্থা ও রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তার বিকল্প মধ্যবাম দল গঠন হবে এখন ইতিহাসের দাবি।যা-ই হোক আপাতত বলতে হবে যে এ নির্বাচনে রাজনীতিক শেখ হাসিনা বিজয়ী হয়েছেন। তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এবার চতুর্থ দফায় তার কাছে দেশবাসীর কামনা হবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশিÑ ১. সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, ২. সুশাসন নিশ্চিত করা, ৩. অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও দুর্নীতি বন্ধ করা, ৪. দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার দাপট বন্ধ করা এবং ৫. সমালোচনা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে আন্তরিক ভূমিকা গ্রহণ। আশা করি শেখ হাসিনা এদিকে নজর দেবেন।সব শেষে বলতে হবে যে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আর নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচনের পর তাদের নেতাদের বক্তব্য বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি। বর্জন ও প্রতিরোধের লাইনে চললে যে কোনো দলকে সহিংসতার দায় নিতে হয় যা শেষ পর্যন্ত দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির জন্য সুস্থ ধারার রাজনীতি এগিয়ে নেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ল।বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা স্মরণ করিয়ে দেব দেশবাসী চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। বড় দলসহ সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই কাম্য হলো দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক ভূমিকা। আশা করি তাদের দায়িত্বের কথা রাজনীতিবিদরা মনে রাখবেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53aefdf8,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2028,সরকার সুষ্ঠু ভোটের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে,"আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কীভাবে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়। আর সকলে তা প্রত্যক্ষ করেছেন।সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে।বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে চাওয়া হয়েছিল। বিএনপির ভোট বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।’ এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53aefd510,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2030,সমন্বিত চেষ্টায় ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে,"প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সরকারের সহায়তা ছিল; আন্তরিকতা ছিল। তাই সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো।গতকাল রবিবার ভোটগ্রহণ শেষে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ মূল্যায়ন করেন সিইসি। এ সময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সচিব উপস্থিত ছিলেন।সিইসি বলেন, ‘ভোটের হারের এই হিসাবে (৪০ শতাংশ) কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে। সব গণনার পর ভোটের হারবাড়তেও পারে, বাড়তে না-ও পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। কিছু কিছু জায়গায় ব্যালট নিয়ে সিল মারার চেষ্টা হয়েছে। কিছু কিছু বাক্সের ভেতর থেকে সিল মারা ব্যালট উদ্?ঘাটন করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু সিল নেই। গণনা থেকে এসব ব্যালট বাদ দেওয়া হবে।’ সিইসি বলেন, ‘কমিশন খুব ভালো করেছে, তা তারা বলছে না। তবে তারা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি।’সিইসি জানান, ৯০ শতাংশের মতো কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পাঠানো হয়েছিল; বাকি দুর্গম কেন্দ্রে ব্যালট গেছে আগের দিন রাতে।ইসির তথ্য অনুযায়ী ১৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২ জনকে। নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। অন্তত ৯টি আসনে ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করায় সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন, আধা সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান সিইসি।ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সিইসি বলেন, তার কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না। তবে সবার কথা মোটামুটি মিলে গেলে জনগণ তাদের মনোভাব তৈরি করবেন।দেশে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি আসনগুলোয় ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়ে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব বড় দল অংশগ্রহণ করে। ভোট পড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53af59311,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2031,ভোটের ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল : শাহাদাত হোসেন,"দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব)। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ভালোই ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো ছিল; দু-একটা জায়গায় কিছু সহিংসতা হয়েছে। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলেই মনে করছি।গতকাল রবিবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ প্রতিক্রিয়া জানান।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সারাদেশে গড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।ভোটের এই হার নিয়ে বিশ^ সম্প্রদায়ের প্রশ্ন তোলার জায়গা আছে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহল অংশগ্রহণমূলক মনে করবে কিনা, বা তাদের তরফ থেকে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেটা তো তাদের ব্যাপার।’কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়Ñ এমন কোনো মানদ- রয়েছে কিনা জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সংবিধানে এ রকম কিছু নেই যে ন্যূনতম এত ভোট পড়তে হবে। তবে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ করা উচিত ছিল; বিএনপির অংশগ্রহণ করাটা উচিত ছিল। পাশের দেশ ভারতে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি কখনো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। যদি কোনো শর্ত থেকে থাকেÑ কীভাবে নির্বাচনটাকে অংশগ্রহণমূলক বা অবাধ নিরপেক্ষ করা যায়, সে ব্যাপারে দরকষাকষি হতে পারত। নির্বাচন বর্জন করা কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে কাম্য নয়। এটা একটি রাজনৈতিক দলের সাময়িক অবস্থান হতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী হওয়া ঠিক নয়।’অনেক বিশ্লেষক বলেছেন নির্বাচন নয়, খেলা হচ্ছেÑ অনেকের এমন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সেভাবে নেব না। দেশের প্রেক্ষাপটে দুটো বড় দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুই দলের যে কোনো একটা দল ভোটে না এলে নির্বাচন যে রকম হওয়ার, ঠিক সে রকমই হয়েছে।’ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে সাবেক এই কমিশনার বলেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। আর একটা বিষয় ছিল ফলাফল; বোঝাই যাচ্ছিল কী হবে? অতীতের দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ একটু কম ছিল।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53af8c713,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2033,ভোটে সন্তুষ্ট ওআইসি ফিলিস্তিন রাশিয়ার পর্যবেক্ষক,"ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা। গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিনিধিরা এই প্রতিক্রিয়া জানান। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিরা রবিবার বিভিন্ন স্থানের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকানপাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি।ভোটার উপস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওআইসি প্রতিনিধি দলের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন।’এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে স্বচ্ছ, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও গণমাধ্যম সহায়ক বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার অ্যান্দ্রে ওয়াই শুটুভ। তিনি বলেন, ‘দারুণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোনো বিষয়ে তথ্যের অভাব ছিল না। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ করেছে। নির্বাচন স্বচ্ছ উন্মুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।ফিলিস্তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলেরপ্রধান হিশাম কুহাইল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনাকারীরাও ভালোভাবে প্রশিক্ষিত ছিলেন।’এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গাজীপুরের কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের সীতাকু-ের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র। অন্যদিকে গাজীপুরের টঙ্গীর কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। গতকাল রবিবার ভোট পর্যবেক্ষণের সময় বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রবিবার সকালে গাজীপুর-৩ আসনের দুটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা কেন্দ্র দুটির প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-১ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ওয়াহিদুল আবরার বলেন, তারা নির্বাচনের সামগ্রিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন, সেসব কিছু অবগত করা হয়েছে। অপর কেন্দ্র মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-২ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মাহবুবুল আলম জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ১৫ মিনিটের মতো তার কেন্দ্রে অবস্থান করেন। নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করেছে কিনাÑ এ রকম নানা বিষয়ে জানতে চান।গতকাল রবিবার দুপুরে টঙ্গীর বিসিক এলাকার শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি। এ সময় ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে থাকা এজেন্ট ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভারতের প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লেহেরী, ভারত সরকারের সাবেক আমলা অমিতাভ রায়, সাংবাদিক ড. সুরেষ চন্দ্র শুকলা ও ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদক এস ভেঙ্কট নারায়ণ।প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, মানুষ ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন এবং ভোট দিচ্ছেন। ভোটের শতাংশ হিসেবে হয়তো এখনো আশানুরূপ হয়নি, কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকু-ের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য। এ সময় তারা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সীতাকু- বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সফরের সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম। কেন্দ্রে ভোটদান প্রদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল। তবে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।অন্যদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা। যদিও কানাডাসহ পশ্চিমা বিশ^ এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে না। সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস বলেন, আমি যেটি দেখেছি সেটি হচ্ছে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বাংলাদেশে ভোটগ্রহণের সময় বিশ্বে সবচেয়ে কম।’ বিশ্বের অন্য কোনো দেশে আট ঘণ্টা ভোট হয় না। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই বলতে চাই, আমার দেশের মিডিয়া বাংলাদেশের মিডিয়ার মতো অনুসন্ধানী ও সৎ নয়। এখানকার গণমাধ্যম যেটি বাস্তবে হয় সেটির বিষয়ে তারা রিপোর্ট করে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53af9ed15,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2035,মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীদের বেশির ভাগ জয় পেয়েছেন,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেশির ভাগই বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ালীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছে। গাজীপুর-১ আসনে টানা চতুর্থবারের মতো দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশি, নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, লালমনিরহাট-২ আসনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২, মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পিরোজপুর-১ শ ম রেজাউল করিম, ময়মনসিংহ-২ আসনে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নাটোর-৩ আসনে জুনাইদ আহমেদ পলক, মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন, রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, শরীয়ত-২ আসনে একেএম এনামুল হক শামীম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিজয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce53c4c33,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2038,"এত সুন্দর নির্বাচন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল: নৌপ্রতিমন্ত্রী","নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এই নির্বাচন আত্মসম্মানের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকেও এত সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। রাজনৈতিক দলের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে সফল নির্বাচন করা যেতে পরে, তা আজকের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেকেই ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। তারা সবসময় উত্তেজনা ঘটাতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ উত্তেজনার বদলে উৎসবকে বেছে নিয়েছে। তাই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচন হয়েছে।’আজ রবিবার রাতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে তিনি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট দিয়েছেন, তারা প্রমাণ করেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এদেশের মানুষ প্রত্যাখান করে। এই ভোট সহিংসতা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব। ফলে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ জয়ী হয়নি, এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। আজকের এই দিনে আমি স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’তিনি বলেন, ‘সফল একটি নির্বাচন সম্পন্ন করেছি আমরা। এজন্য বোচাগঞ্জ উপজেলার সকল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের উপজেলার বাইরে যারা থাকেন তারা ভোট দেওয়ার জন্যই দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। ফলে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে মোট ভোট এসেছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১২০। এর মধ্যে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৪৯ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce5467f55,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2039,কত ভোট পেলেন চিত্রনায়িকা মাহি,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ঝড় তুললেও আশানুরূপ ভোট পেলেন না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।ওই আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। দুই উপজেলায় মাহিয়া মাহি ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। আর টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। রবিবার রাত ১০টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভোটের এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাহি।ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু সোনালী আঁশ প্রতীকে ২৭৩ ভোট, বিএনএমের প্রার্থী মো. শামসুজ্জোহা নোঙ্গর প্রতীকে ১ হাজার ৯১১ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে ৯৩৮ ভোট, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া বেলুন প্রতীকে ২ হাজার ৭১৮ ভোট, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা আম প্রতীকে ২৯৬ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ ছড়ি প্রতীকে ৩৩৫ ও বিএনএফের প্রার্থী মো. আল সাআদ টেলিভিশন প্রতীকে ৬০৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে গোলাম রব্বানীকে সমর্থন দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের ঈগল প্রতীকে পড়েছে ২০২ ভোট। এ আসনে মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার ভোট দেন।এদিকে ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে মাহি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের সঙ্গে আছি।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce55828ec,আমাদের সময়,৮ জানুয়ারি 2040,"নওগাঁর দুই আসনে স্বতন্ত্র, তিনটিতে নৌকার জয়","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রবিবার রাতে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা বেসরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা করেন।ঘোষিত ফল থেকে জানা যায়, নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতীক) মো. খালেকুজ্জামান তোতা পেয়েছেন ৭৬ হাজার৭২৯ ভোট। নওগাঁ-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রেনাথ চক্রবর্তী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।নওগাঁ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ১৮০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।নওগাঁ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল জন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪।নওগাঁ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন বিজয়ী হয়েছেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক গত ২৯ ডিসেম্বর মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cdfefdcbc12,আমাদের সময়,7 জানুয়ারি 2041,ফ্যাক্টর তরুণ ভোটার,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের একটি বড় অংশ প্রথম এবং তরুণ ভোটার। প্রার্থী ও দলগুলোর প্রধান টার্গেটও তারাই। নতুন ভোটার হওয়া তরুণদের আড্ডায় এখন আলোচনার বিষয় নির্বাচন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ফ্যাক্টর হবে তরুণদের ভোট। প্রথমবার ভোট দেওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত তরুণ ভোটাররাও।এবারই প্রথম ভোট দেবেন রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘জীবনের প্রথম সবকিছুর অভিজ্ঞতা অন্যরকম। প্রথমবার ভোট দেওয়া অপেক্ষায় আছি। নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জনের তীব্র উত্তেজনা কাজ করছে।’কেমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী জুরাইয়া কবির বলেন, ‘তরুণ ভোটার হিসেবে এটাই যেহেতু আমার প্রথম ভোট, তাই আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। পদ্মা সেতু কর্ণফুলী টানেল বা মেট্রোরেলের সুবিধা; দেশের অবকাঠামোর এই পাল্টে যাওয়াটা আমাদের সামনেই হয়েছে। যিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবেন বলে মনে করছি, তাকে ভোট দেব।’নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ভোটার। আর বর্তমানে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৪। অর্থাৎ মোট ভোটারের অর্ধেক ভোটারই তরুণ।নির্বাচনে তরুণদের সমর্থন পেতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের ইশতেহার সাজিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ৫ বছরে ২ লাখ যুবকের মাঝে ৭৫০ কোটি টাকা যুবঋণ বিতরণের পাশাপাশি ২ লাখ ৫০ হাজার যুবককে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।জাতীয় পার্টি তাদের ইশতেহারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা তরুণ-তরুণীদের জন্য বেকার ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আছে নারীদের জন্য অবৈতনিক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার। আর তরুণদের ভোট টানতে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি, বেকার ভাতা ও জামানতবিহীন ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cdf790d44,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান সিইসির,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে উৎসবমুখর পরিবেশে, উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন।’আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান সিইসি। তার এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।সিইসি বলেন, ‘ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গমনাগমনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি ক্যাব, ট্রাক ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহন উন্মুক্ত থাকবে। ভোট আপনার, ভোট প্রদানে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনোরকম বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে কোনো মূল্যে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য। প্রিসাইডিং অফিসারকে সহায়তা করতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট কাছাকাছি অবস্থান করবেন।’জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মূল্যবোধসমৃদ্ধ আবেগ ও চেতনা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সংবিধানে দেশের জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। রাত পোহালে আজ বাদে কালই (রবিবার) সেই নির্বাচন।’দ্বাদশ এই সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২২ মাস আগে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। আগ্রহী সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামত শুনেছি, সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকেও সংলাপে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণে তারা সাড়া দেননি। নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছি।’সিইসি বলেন, ‘সাধারণ নির্বাচন সাধারণত পাঁচ বছর পরপর হয়ে থাকে। প্রজাতন্ত্র বিধায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার অনিবার্য আবশ্যকতা রয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহায়তা নিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।’তিনি বলেন, ‘সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে। কমিশনও তার আয়ত্তে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সকল সহায়তা গ্রহণ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে।’‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আখ্যায়িত করা যাবে না’সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সবার সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়ে থাকে বলে মনে করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ-সাধন হয়।’নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মত-বিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সেরকম রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না স্বীকার করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সর্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মোট ১৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না।’উৎসবমুখর পরিবেশে, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও ভোটারকে নির্বাচন বিষয়ক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে আরোপিত দায়িত্বপালন করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ ভোটকেন্দ্রগুলোর পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।’সবাইকে হুঁশিয়ার করে সিইসি বলেন, ‘কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব প্রকারের নির্বাচনি অনিয়ম অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’‘রাজনৈতিক মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়’সিইসি বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় নাশকতা ও সহিংসতা একেবারেই হচ্ছে না, তা বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। নির্দোষ, নিরীহ, নিষ্পাপ শিশু, নারী, পুরুষের মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। চলমান এহেন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও অবসান প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে। আজ না হলেও ভবিষ্যতের জন্য। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি আলাপ-আলোচনা ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হয়ে যে কোনও রাজনৈতিক সংকটের নিরসন সম্ভব।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সহিংসপন্থা পরিহার করে কেবল শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাবে মর্মে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এতে জনমনে আস্থা সঞ্চারিত হয়েছিল। ঘোষিত হরতাল অবরোধের মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দৃশ্যমান হচ্ছে। ট্রেন, যানবাহন, নির্বাচন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা দায়ী সেটি আমাদের বিবেচ্য নয়। তবে নাশকতা ও সহিংসতার কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তারপরও অলঙ্ঘনীয় সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে জনগণকে অনুরোধ করছি, আপনারা সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মূল্যবান নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন।’‘সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ’সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচনে দেশে মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি এবং ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৮ লাখ সরকারি কর্মচারী ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। প্রায় ৩ হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লক্ষাধিক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ। আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে নমিনেশন দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যবস্থাটি আগামীতেও বহাল থাকবে।’ তিনি জানান, সর্বশেষ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটার সাধারণ ও সর্বসাধারণের জন্য দিনব্যাপী কেন্দ্র ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের সুবিধাসম্বলিত দুটি ডিজিটাল অ্যাপ কমিশন সম্প্রতি চালু করেছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দৃশ্যমানতার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তোলা গেলে নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জনমনে আস্থা সৃষ্টিতে তা সহায়ক হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। তাই দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় ২৩ হাজার দেশি এবং প্রায় ২০০ বিদেশি পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি ও বিদেশি সংবাদকর্মীও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং চিত্র ও তথ্য সংগ্রহে মাঠে অবস্থান করবেন।’ ‘নির্বাচন দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ও বিশ্বাসযোগ্য হবে’নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী, সৎ, দক্ষ ও অনুগত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নিজ নিজ অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা কার্যত আপনাদেরই করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোলিং এজেন্ট না থাকলে সম্ভাব্য ভোট কারচুপি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে। নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা সৎ, নিরপেক্ষ ও অবিচল থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যথা হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’স্ব স্ব অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও আবশ্যক আইনানুগ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে প্রত্যাশা করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। দেশের জনশাসনে জনগণের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র সুসংহত হবে। সংসদ, সরকার ও সংবিধানের কাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে।’সবশেষে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ আপামর জনগণের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cdff3cdc84,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,যেভাবে জানা যাবে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রইসির স্মার্ট অ্যাপ,"আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। ভোট দিতে হলে জানতে হবে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নাম। যারা লেখাপড়া জানেন না বা বয়স্ক, তাদের জন্য এটি একটি বিড়ম্বনার কাজ। তবে এ কাজটি সহজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার তারা স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে। তাই ভোটার নম্বর, কোন এলাকার ভোটার, ভোট কেন্দ্রের নাম ও ঠিকানা সংবলিত বিস্তারিত তথ্য এখন হাতের মুঠোয়। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাপে ভোট সম্পর্কিত সব তথ্যই রয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি (smart election management BD)নামে একটি অ্যাপ গত নভেম্বরে উদ্বোধন করেছে। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে ইসির অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপটিতে প্রবেশ করে প্রথম ভাষা নির্বাচন করতে হবে। এরপর ভোটার নিজের নম্বর জানতে চাইলে প্রথমে জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে যাচাই করতে হবে। সেখানে দেখা যাবে ভোটার নম্বর ও ভোটিং ক্রমিক নম্বর। এরপর ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে ওপরের দিকে ডান পাশের সাইড বারে ভোটার কেন্দ্র অপশনে গিয়ে আবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ লিখতে হবে। সেখানে ভোটকেন্দ্রের তথ্য আসবে গুগল ম্যাপে ঠিকানাসহ। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আসনে প্রার্থী কারা, সে তথ্যও আসবে। যদিও এই প্রতিবেদক ৭ জনকে দিয়ে যাচাই করে মাত্র ৩ জনের ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানতে পেরেছেন। বাকিদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি বলে বার্তা আসছিল।ভোটারের তথ্য ছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য, নির্বাচনের ফলাফল নামে দুটি অপশন রয়েছে। সেখানে নির্বাচনের সরাসরি আপডেট জানা যাবে, নিবন্ধিত দল সম্পর্কেও জানা যাবে। ফলাফল অপশনে নির্বাচনের তথ্য জানা যাবে ভোট হওয়ার পর। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল দেওয়া আছে। ইসি জানিয়েছে, ভোটের দিন দুই ঘণ্টা পরপর ভোটের প্রাপ্ত ফলাফল অ্যাপে হালনাগাদ করা হবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cdff2beff5,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,ভোটের দিন গণপরিবহন চলবে,"সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে বন্ধ থাকে গণপরিবহন। কিন্তু এবার আজ ভোটের দিন গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে আগামীকাল রাত ১২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচলে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ও জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন, চিকিৎসক ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত থাকবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।এ ছাড়া আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া-আসার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে।প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য ১টি, তাদের এজেন্টের জন্য ১টি গাড়ি রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিয়ে চলাচল করতে পারবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce38d4107,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,শেষ বেলায় ভোট দিয়ে যা বললেন শামীম ওসমান,"নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম ওসমান দিনের শেষ দিকে এসে নিজের ভোট দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাসদাইর এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিবারসহ এসে ভোট দেন তিনি।আজ রবিবর বেলা ৩টার দিকে তিনি তার স্ত্রী, ছেলে মেয়ে এবং নাতিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে প্রবেশ করেন। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেই নাতিকে দিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন। এরপর তিনি সহ পরিবারের যারা ভোটার আছেন সবাই ভোট দেন। এ সময় শামীম ওসমান তার নাতীকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রের বুথে প্রবেশ করেন। গোপন কক্ষে ব্যালটে সিল মারার পর নাতিকে দিয়ে বাক্সে ব্যালট পেপার ফেলে। পরে তিনি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘বিরোধীরা স্লোগান দিয়ে আসছে ভোট কেন্দ্রে যাবে যার লাশ হয়ে ফিরবে তারা এসব নানা অপতৎপরতার কারণে স্বাভাবিক মানুষ একটু ভয় পায়। ফলে ভোটার কিছুটা কম হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আরও মনে হয়েছে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে। যারা ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করতে দায়িত্ব নিয়ে আসছেন, এদের মধ্যেও কেউ কেউ চাইছে ভোট যাতে কম পরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মানুষকে হয়রানি করেছেন। ভোটারদের বিভিন্ন কক্ষে ঘুরিয়েছেন। এ ছাড়া সকালে অনেক ভোটারদের বলা হয়েছে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। অথচ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে মানুষ যারা মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন তারা ফেরত চলে গেছেন ‘তিনি বলেন, ‘এভাবে অন্তত দুই থেকে তিন হাজার ভোটার চলে গেছে। পরে আমি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টি সমাধান করেন।’বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগানের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘তারা চারজন মানুষকে জীবন্ত পুড়ে মেরেছে। আমি বিএনপিকে কোনো রাজনৈতিক দল বলব না। বলব আগুন-সন্ত্রাসী দল।’তিনি বলেন, ‘আমি আমার নাতিকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছি। তাদের ভবিষ্যতের নাম শেখ হাসিনা। আমাদের ভবিষৎ ছিল বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের ভবিষৎকে শেষ করে দিয়েছে। না হলে আমরা জাপানের মতো উন্নত দেশ থাকতাম।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3975ef2,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,সস্ত্রীক ভোট দিলেন প্রধান বিচারপতি,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ রবিবার দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে ওই কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে ভোট দেন তিনি।একই সময় মোহনগঞ্জ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা) নির্বাহী বোর্ডের সাবেক সদস্য নাফিসা বানু।ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ভোট প্রদান প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। প্রতিটি নাগরিকের উচিত সেই দায়িত্ব পালন করা।ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো। এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।এর আগে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে নেত্রকোণা-৪ আসনের এমপি সাজ্জাদুল হাসান একই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3ebb739,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,২৫-৩০ শতাংশের বেশি ভোটার আমেরিকা-ইংল্যান্ডেও নাই’,"পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচনে কোনো খানে ২৫-৩০ শতাংশের বেশি ভোটার নাই বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ রবিবার বিকেলে গাজীপুরের জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটারদের কেন্দ্রে আনা যায়নি কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ভোটারের উপস্থিতি ছিল নির্বাচনে। পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচনে কোনো খানে ২৫-৩০ শতাংশের বেশি ভোটার নাই। আমেরিকাতেও না, ইংল্যান্ডেও না।’ তিনি বলেন, ‘লোকাল ইলেকশনে যেমন ভোটার হয়, জাতীয়তে সে পরিমাণে হয় না। কারণ লোকাল ইলেকশনে মেম্বার, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেয়র সাহেবরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নিয়ে আসে, জাতীয় নির্বাচনে সেটা সম্ভব হয় না।’আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পার্সেন্টেজ উপস্থিতি ছিল। মানে এক-তৃতীয়াংশ।’ নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু ছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গ্রহণযোগ্যতো বটেই একটি অবাধ নির্বাচন আজ পুরো জাতি দেখেছে। যারা বলতেন শেখ হাসিনার আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না; আমার মনে হয় জনগণ তার জবাব দিয়েছে।’নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এত কিছুর পরেও নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেডিবিলিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’ নিজের জয়ের ব্যাপারে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ জনগণের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তারাও আমাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেছে। আশা করি, সেভাবেই তারা তাদের রায় দেবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3cec803,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,৩০ কেন্দ্রের ফলে এগিয়ে এ কে আজাদ,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ৩০টি কেন্দ্রের ফলে এগিয়ে রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তার চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।ফরিদপুর-৩ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৪টি। এর মধ্যে ৩০ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। এতে এ কে আজাদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম হক পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৬৬ ভোট।ফরিদপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ০৪ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ০২ হাজার ৭৬৭ জন ওনারী ভোটার ২ লাখ ০১ হাজার ৫৩০ জন।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3bd6b2f,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিপুল ভোটে এগিয়ে সাকিব,"চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসনে আসনে চলছে ভোট গণনার কাজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।৩টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, সাকিবের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ৩ হাজার ২৭০টি। সাকিবের নিকটতম প্রার্থী হিসেবে ভোট পড়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনের ডাব মার্কায়। তিনি মাত্র ৭১ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ, সাকিবের ধারে-কাছেও যেতে পারেননি কেউ। এর আগে, সকাল ৮টায় মাগুরা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দরি মাগুরা ১১১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সাকিব। এ সময় তার বাবা মাশরুর রেজা, সাকিবের বোন বৃষ্টিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভোটদানে অংশ নেন।ভোট দেওয়ার শেষে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। আমি মনে করি এ নির্বাচনে ভোটারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছর মাগুরা-১ আসনের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। মাগুরার উন্নয়নে আমার ভূমিকা থাকবে অগ্রগন্য। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি অনেক দূর অগ্রসর হতে পারবো।মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।এই আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৫২টি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3e6714e,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,মাশরাফির ধারেকাছেও নেই কেউ,"চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসনে আসনে চলছে ভোট গণনার কাজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পাওয়া ভোটের ধারেকাছেও নেউ অন্য কোনো প্রার্থী।এখনো পর্যন্ত পাওয়া তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের মাশরাফি পেয়েছেন ৩৬১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৭৬ ভোট। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ পেয়েছেন ৪৫ ভোট। এর আগে, আজ রবিবার সকাল পৌনে ১১ টায় নড়াইল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি। ভোটদানের পর উপস্থিত সাংবাদিকের মাশরাফি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট। তবে শীতের সকালে কিছুটা কম উপস্থিত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করি।’মাশরাফির আসনে (নড়াইল সদরের আংশিক ও লোহাগড়া) মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জন। এ আসনে ১৪৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য ৮০৪টি ভোটকক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।এই আসনে মাশরাফি ছাড়াও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3f9d897,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ব্যারিস্টার সুমন,"চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসনে আসনে চলছে ভোট গণনার কাজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন হিসেবে পরিচিত সৈয়দ সায়েদুল হক ঈগল প্রতীকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।এখনো পর্যন্ত পাওয়া সাতটি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী, ঈগল প্রতীকে সুমন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ ভোট।ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি একটি জিনিস বিশ্বাস করি, ঘাম কখনো প্রতারণা করে না। আমি যে পরিমাণ ঘাম ঝড়িয়েছি আমার এলাকার মানুষের জন্য, এই ঘামের ফলাফলই আমাকে এলাকার মানুষ দিয়েছে। আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে সারা দেশে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। এরপরই শুরু হয় ভোট গণণা। আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ৮টায় হাজি ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন তিনি।হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। শিল্প-কারখানা ও চা বাগান অধ্যুষিত এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার।নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ আসনে লড়াই করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক সুমনসহ আটজন। অপর ছয় প্রার্থী হলেন- আবু ছালেহ (ইসলামী ঐক্যজোট), আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল মমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. মোখলেছুর রহমান (বিএনএম), মো. রাশেদুল ইসলাম খোকন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট) ও সৈয়দ মো. আল আমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce42a137e,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,অনেক এগিয়ে মাশরাফি,"চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসনে আসনে চলছে ভোট গণনার কাজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পাওয়া ভোটের ধারেকাছেও নেউ অন্য কোনো প্রার্থী।এখনো পর্যন্ত পাওয়া ২৩টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের মাশরাফি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৬১৩ ভোট। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম পেয়েছেন ৩১৬ ভোট।এর আগে, আজ রবিবার সকাল পৌনে ১১ টায় নড়াইল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি। ভোটদানের পর উপস্থিত সাংবাদিকের মাশরাফি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট। তবে শীতের সকালে কিছুটা কম উপস্থিত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করি।’মাশরাফির আসনে (নড়াইল সদরের আংশিক ও লোহাগড়া) মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জন। এ আসনে ১৪৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য ৮০৪টি ভোটকক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।এই আসনে মাশরাফি ছাড়াও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce42dae50,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিপুল ভোটে জয়ের পথে এ কে আজাদ,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ১১০টি কেন্দ্রের ফলে এগিয়ে রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তার চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।ফরিদপুর-৩ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৪টি। এর মধ্যে ১১০ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। এতে এ কে আজাদ পেয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৪৪ ভোট।ফরিদপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ০৪ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ০২ হাজার ৭৬৭ জন ওনারী ভোটার ২ লাখ ০১ হাজার ৫৩০ জন।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce453e54a,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,জিতলেন পলক,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ রবিবার সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।নৌকা প্রতীকে জুনাইদ আহমেদ পলক পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট। অপরদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শফিকুল ইসলাম শফিক (ঈগল প্রতীক) পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী পলক প্রায় ৯৩ হাজার ভোটে শফিককে পরাজিত করেছেন।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর টানা তিন বারের সংসদ সদস্য। দ্বাদশ নির্বাচনে জয়লাভ করে চতুর্থ বারের মতো সংসদে যাচ্ছেন তিনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce45978d8,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিপুল ভোটে জয়ী ওবায়দুল কাদের,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের খাজা তানভীর আহমেদ।সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসনের ১৩২টি কেন্দ্রে পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ২৭৯ ভোট। এসব কেন্দ্রে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১৯ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৭০২ ভোট।অর্থাৎ বিশাল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে এই আসন থেকে ৭ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে জিতলেন ৫ বার।অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) এর ছড়ি প্রতীক নিয়ে শাকিল মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ১৩০ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) এর চেয়ার প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ মকছুদের রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce42a30c7,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে সাকিবের নৌকা,"চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসনে আসনে চলছে ভোট গণনার কাজ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।৩০টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, সাকিবের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ৫১ হাজার ৯১৮ টি। সাকিবের নিকটতম প্রার্থী হিসেবে ভোট পড়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনের ডাব মার্কায়। তিনি মাত্র ২৩৩ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ, সাকিবের ধারে-কাছেও যেতে পারেননি কেউ। এর আগে, সকাল ৮টায় মাগুরা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দরি মাগুরা ১১১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সাকিব। এ সময় তার বাবা মাশরুর রেজা, সাকিবের বোন বৃষ্টিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভোটদানে অংশ নেন।ভোট দেওয়ার শেষে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। আমি মনে করি এ নির্বাচনে ভোটারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছর মাগুরা-১ আসনের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। মাগুরার উন্নয়নে আমার ভূমিকা থাকবে অগ্রগন্য। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি অনেক দূর অগ্রসর হতে পারবো।মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।এই আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৫২টি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce462d1f7,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিমান প্রতিমন্ত্রীকে বিপুল ভোটে হারালেন ব্যারিস্টার সুমন,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করেছেন তিনি।স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করা সুমন এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট।আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে সারা দেশে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। এরপরই শুরু হয় ভোট গণণা। আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ৮টায় হাজি ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন তিনি।ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি একটি জিনিস বিশ্বাস করি, ঘাম কখনো প্রতারণা করে না। আমি যে পরিমাণ ঘাম ঝড়িয়েছি আমার এলাকার মানুষের জন্য, এই ঘামের ফলাফলই আমাকে এলাকার মানুষ দিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। শিল্প-কারখানা ও চা বাগান অধ্যুষিত এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার।এই আসনে লড়াই করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক সুমনসহ আটজন। অপর ছয় প্রার্থী হলেন- আবু ছালেহ (ইসলামী ঐক্যজোট), আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল মমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. মোখলেছুর রহমান (বিএনএম), মো. রাশেদুল ইসলাম খোকন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট) ও সৈয়দ মো. আল আমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce47f4dbf,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,৩৪ গুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত সাকিব,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীকের কাজী রেজাউল ইসলামের চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।আসনটির মোট ১৫২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, সাকিবের নৌকা পেয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৩ ভোট। আর কাজী রেজাউল পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৬ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এদিন সকাল ৮টায় মাগুরা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দরি মাগুরা ১১১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সাকিব। এ সময় তার বাবা মাশরুর রেজা, সাকিবের বোন বৃষ্টিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভোটদানে অংশ নেন।ভোট দেওয়ার শেষে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। আমি মনে করি এ নির্বাচনে ভোটারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। নির্বাচনে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছর মাগুরা-১ আসনের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। মাগুরার উন্নয়নে আমার ভূমিকা থাকবে অগ্রগন্য। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করলে আমি অনেক দূর অগ্রসর হতে পারবো।মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চারজন। বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ছাড়াও নির্বাচন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce49ab16a,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,কক্সবাজারের ৪টি আসনে জয়ী হলেন যারা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কক্সবাজারের ৪টি আসনে আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয় গণনা। রাতে ভোট গণনা শেষে কক্সবাজারের জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু ঈদগাঁও) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce490cbc1,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,মেহেরপুর-১ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী ফরহাদ হোসেন,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন। নির্বাচনে তিনি ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর আব্দুল মান্নান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট।আজ রবিবার সকাল ৮টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই নির্ভরযোগ্য তথ্য। পরে সব তথ্য যোগ হলে এই তথ্য বাড়তে বা কমতে পারে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce4f0c690,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুইটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট।পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন ১ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চতুর্থবারের মত এমপি নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লুৎফর রহমান রিপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৭ ভোট। ,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce50b7d22,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বিএনপি ছেড়ে নৌকায় উঠে জয় পেলেন শাহজাহান ওমর,"ঝালকাঠি জেলার দুটি সংসদীয় আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনেরনৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ও ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু।আজ রবিবার রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কক্ষ থেকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আ. সালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে ৯০টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট। এছাড়াও অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির এজাজুল হক এজাজ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৭২ ভোট, ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭০ ভোট, প্রার্থীতা থেকে সরে যাওয়া এম মনিরুজ্জামান মনির ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি মজিবুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২ ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকে জসিম উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৮২ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত মামুন সিকদার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। এ আসনে মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট ৯৯ হাজার ৮৯০টি এবং বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৪২৫টি।অপরদিকে, ঝালকাঠি-২ (নলছিটি-ঝালকাঠি সদর) আসনে মোট ১৪৭টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু। তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩১৪ভোট। এনপিপি’র আম প্রতীকের মো. ফোরকান হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫০ ভোট।অপরদিকে, ঝালকাঠি-২ (নলছিটি-ঝালকাঠি সদর) আসনে মোট ১৪৭টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু। তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩১৪ভোট। এনপিপি’র আম প্রতীকের মো. ফোরকান হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫০ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce50929c6,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বরিশালে বিজয়ী হলেন যারা,"বরিশালে ছয়টি আসনের বেসরকারিভাবে ফলাফলে চারটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টি ও অন্যটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে রাশেদ খান মেনন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একে ফাইয়াজুল হক রাজু (ঈগল) ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন।বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬০৫ ভোট।বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৬১ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৪৫ ভোট।বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭০৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাফিজ মল্লিক ৬০ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce4f21e5f,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,বাগেরহাটের ৪টি আসনেই নৌকার জয়,"বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। আজ রবিবার রাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে ১২৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট।বাগেরহাট-২ আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম শেখ তন্ময় নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (লাঙ্গল) হাজরা শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।বাগেরহাট-৩ আসনে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার নৌকা প্রতীকে ৮৫ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী ইজারাদার পেয়েছেন মাত্র ৫৭ হাজার ৬৫২ ভোট।বাগেরহাট-৪ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) ও দুপুরে নির্বাচন বর্জনকারী মো. জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯৮ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce5c0ef8f,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,"নেত্রকোনায় চারটিতে নৌকা, একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী",নেত্রকোনার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। অন্য একটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। রবিবার রাতে ভোট গণনা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ২১৯ ভোট।নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৭২টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয় ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট।নেত্রকোনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক অসীম কুমার উকিল পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৪৭টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত আলী খান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৯ ভোট।নেত্রকোনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আহমদ হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ৮১টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ২১৪ ভোট।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce5e83f4f,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই নৌকার জয়,দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছেন। রবিবার রাত ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় নির্বাচনের এই ফল ঘোষণা করেন।গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া) আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি এম নিজামউদ্দিন লস্কর একতারা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৬৯টি।গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ সদর- কাশিয়ানী আংশিক) আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৫১৪টি।তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনে। এ আসনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন কর্নেল ফারুক খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া ঈগল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪টি।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce6003934,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,পটুয়াখালীতে বিজয়ী হলেন যারা,"পটুয়াখালীর ৪টি আসনের মধ্যে তিনটি আওয়ামী লীগ ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালী-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসম ফিরোজ ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মহসিন পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৮ ভোট।পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা- দশমিনা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম শাহজাদা পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. জে. (অব) আবুল হোসেন পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-কুয়াকাটা-রাঙ্গাবালী) আসনে নৌকা প্রতীকের মো. মহিববুর রহমান ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce73dabe1,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন গাজী ও বাবু,"টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। ২০০৮ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটিতেই আসন দুটি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।দল এই দুই প্রার্থীর ওপর আস্থা রেখে চতুর্থবারের মতো নৌকা তুলে দেন এবারের নির্বাচনেও। দলের সেই আস্থার প্রতিদানও দেন এই দুই প্রার্থী।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করেন আরও আট প্রার্থী। এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া। তিনি কেটলি প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।অপর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। যদিও মনে করা হচ্ছিল গত তিনবারের মতো গাজী গোলাম দস্তগীর খুব সহজে এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। আবার অনেকে মনে করেছিলেন, হয়তো তিনি জয়ীই হবেন না। তবে শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিপুল ভোটে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেন গাজী গোলাম দস্তগীর। এই আসনে গাজীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের শাহজাহান ভূইয়াকে ১ লাখ ১১ হাজার ৪০৮ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব সোনালী আঁশ প্রতিকের তৈমূর আলম খন্দকার পান মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। শাহজাহান পান ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। গাজী গোলাম দস্তগীরের মোট ভোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট।গত তিনবারের এই সংসদ সদস্য সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের। গত ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ‘রূপগঞ্জে গাজীতেই আস্থা ভোটারদের’ শিরোনামে আমাদের সময়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর রূপগঞ্জে সেই চিত্রই ফুটে উঠে। এদিকে টানা চতুর্থবারের মতো গাজীর জয়কে রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ তাদের জয় হিসেবেই দেখছেন। তারা মনে করছেন, গাজী গোলাম দস্তগীর বিগত সময়ে যে উন্নয়ন কাজ করেছেন তারই ফলস্বরুপ তিনি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। আগামী দিনগুলোতে তিনি ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দিবেন বলেই আশা স্থানীয়দের।এদিকে টানা চতুর্থবারের মতো নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছেন এক সময়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম বাবু। ২০০৮ এর নির্বাচন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে দল তার প্রতিও আস্থা রেখে মনোনীত করে এসেছেন। দলের সেই আস্থার প্রতিদান অন্যান্যবারের মতো এবারও রেখেছেন প্রভাবশালী এই সংসদ সদস্য। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন থেকে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও চার প্রার্থী। এদের মধ্যে তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয় ভোটের একদিন আগে নির্বাচন বর্জন করেন। এই আসনে নজরুল ইসলাম বাবুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন। এই নির্বাচনে আলমগীর সিকদার লোটনকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৬ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম বাবু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন পান ৭ হাজার ২৫৬ ভোট। বাবুর মোট ভোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। তার এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন বাবু।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce77f7f12,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,গাজীপুরে ৫ আসনের চারটিতেই নৌকার জয়,"গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বাকি চারটি আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। গতকাল রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর এবং গাজীপুর সিটির একাংশ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোট।চতুর্থবারের মতো আসনটিতে জয় পেলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম (রাসেল) ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের হয়ে জোরাল প্রচারণায় নেমেছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটির একাংশ ও গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান (রাসেল)। ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১২৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিনের ট্রাক প্রতীকের হয়ে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর একাংশ) আসনে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী রুমানা আলী (টুসি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন (সবুজ) পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট। এর আগে রুমানা আলী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সিমিন হোসেন (রিমি)। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে সিমিনের ফুফাতো ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট। আসনটিতে এ নিয়ে তিনবার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি।গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ, পুবাইল ও বাড়িয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে আখতারুজ্জামান ৮২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়েছেন। গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বেশ পুরনো রাজনীতিক। তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, ডাকসুর ভিপি, জিএস। এবারের নির্বাচনে এই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce820bdfe,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,কত ভোটে জয়ী হলেন বিসিবি সভাপতি পাপন,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব উপজেলা) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিজয়ী হয়েছেন।বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানে ছেলে পাপন পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোমবাতি প্রতীকের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. রুবেল হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ২০৬ ভোট। অর্থাৎ পাপন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৯ বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।গতকাল রবিবার কুলিয়ারচর ও ভৈরব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া ভোটের ফলাফলে বিষয়টি জানা যায়।এ আসনে পুরুষ, নারী ও হিজড়া মিলিয়ে মোট ভোটার তিন লাখ ৯৯ হাজার ২৪২ জন। মোট ১৪২টি ভোটকেন্দ্রে ৮৭৪টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce7b656d8,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞ সাকিব,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীকের কাজী রেজাউল ইসলামের চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।আসনটির মোট ১৫২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, সাকিবের নৌকা পেয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৩ ভোট। আর কাজী রেজাউল পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৬ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১।জয়ী হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাকিব। ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিখেন, ক্রিকেট এবং এর বাইরেও আপনাদের অটুট সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার যাত্রায়, খেলার মাঠে এবং এখন রাজনীতিতে আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের বিশ্বাস আমাকে আমাদের মহান জাতি থেকে সেরাটা বের করে আনতে অনুপ্রাণিত করে যাবে।মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চারজন। বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ছাড়াও নির্বাচন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce7f7ef31,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,চতুর্থবারের মতো বিজয়ী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে চতুর্থবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নির্বাচনে মাহমুদ আলী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছে ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। জানা যায়, গতকাল রবিবার সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫২টি ও চিরিরবন্দর উপজেলার ৭৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয় আজ। এতে প্রার্থী ও সমর্থকেরা তেমন কোনো অভিযোগ করেননি। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শরিফুল হক এবং খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজ উদ্দিনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫২ হাজার ৯৭১ জন ভোটার তাঁদের ভোট প্রদান করেছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পেয়েছে ৩৮ হাজার ৮৬৭ ভোট, ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯১ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের মোনাজাত চৌধুরী মিলন ৫৬৩ ভোট ও আম প্রতীকে আজিজা সুলতানা ২৫৯ ভোট পেয়েছে। বাতিল হয়েছে ৮৯১ ভোট। অন্যদিকে চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ১১৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পেয়েছে ৫৭ হ্জার ৫৮০ ভোট, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের মোনাজাত চৌধুরী মিলন পেয়েছে ৫৩১ ভোট ও আম প্রতীকে আজিজা সুলতানা পেয়েছে ৪৬৬ ভোট ও বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৫০৯ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce7d38f5b,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,৬ষ্ঠ বারের মতো বিজয়ী হলেন মতিয়া চৌধুরী,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর- ২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী ৬ষ্ঠ বারের মতো বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার এই বিজয়ে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৪ সংসদীয় এই আসনে বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া ও সতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাইদ আঙ্গুর।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বেগম মতিয়া চৌধুরী ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৬।এদিকে এলাকাবাসী জানান, বেগম মতিয়া চৌধুরী বিগত সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামে বর্ডার হাটস্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ওই বর্ডার হাট স্থাপন করার জন্য এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জোর দাবি জানান।নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য একটি কালচারাল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকার বাকি থাকা প্রান্তীক পর্যায়ের গ্রামীণ রাস্তাঘাট উন্নয়ন, সংষ্কার ও পাকাকরণ করা হলে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ অনেকটাই সহজ হবে বলে এলাকাবাসী অভিমত ব্যক্ত করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce824d6f5,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,জামালপুর-৩ আসনে ৭ম বারের মতো বিজয়ী মির্জা আজম,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে টানা ৭ম বারের মতো জয়ী হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশআওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এম.পি। দুই উপজেলার ১৫৩ টি কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারী ভাবে মির্জা আজম (নৌকা) প্রতীকে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মীর সামছুল আলম লিপটন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট। জাতীয় পার্টি জেপির (সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৫ ভোট। গতকাল রবিবার প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মানুষ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে। জেলার এ আসনের দুই উপজেলার ৩ টি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে কোন সংঘাত ছাড়াই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হলে বিকাল ৫ টার পর থেকে একে একে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করে। জাতীয় সংসদীয় আসন ১৪১ ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে মির্জা আজম ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে জয়ী হন। তিনি ২৮ বছর বয়সে নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর তিনি টানা ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি সরকারদলীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এবারও দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো জয়ী হয়েছেন জনপ্রিয় এই রাজনীতিবীদ।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী জামালপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮১৯ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজর ৭১৭ জন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce8994a0d,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,কাঁদলেন ফেরদৌস,"জাতীয় নির্বাচনের ভোটের মাঠে নেমেই জয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ২৫৭ ভোট।গতকাল রবিবার রাতে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। এসময় কাঁদতেও দেখা যায় তাকে। পাশে ছিলেন স্ত্রী তানিয়া রেজা। ফেরদৌস স্মরণ করেন তার প্রয়াত বাবা ও শ্বশুরকে।ফেরদৌসের কথায়, ‘বাবাকে খুব মিস করছি। আমার শ্বশুর থাকলেও খুব খুশি হতেন। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। যিনি আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন। কীভাবে মানুষকে ভালোবাসা যায়, তার কাছ থেকে শিখেছি। কীভাবে সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণভাবে ভালোবাসা যায়, সেটাও জেনেছি। গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি। তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী, দুই মেয়ে, স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যারা আছেন তারা খুব খুশি হয়েছেন। এমন একটা আনন্দ যা বলে বোঝানো যাবে না। এটা একা ভাগাভাগি করা সম্ভব না। আশেপাশের মানুষ, বন্ধু-বান্ধব এসেছেন, আমার খুবই ভালো লাগছে।’সঙ্গে যোগ করে ঢাকা-১০ আসন জয়ী ফেরদৌস বলেন, ‘এই ফুলের মালা আমার দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি সেবক হতে চেয়েছিলাম, সেবা করতে চাই। মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম সেবার করার, করেছিও। জনগণ মালা পরিয়ে দিয়েছে, এখন নিশ্চিত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াব। আমি নেতাকর্মীদের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তারা ছাড়া এ জয় কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce8835b5c,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ,"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আগামী বুধবার (১০ জানুয়ারি)সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ সোমবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টানা চতুর্থবার ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইশতেহারে দেওয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব। আগামী বাংলাদেশ হবে স্মার্ট ও সমৃদ্ধ। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce880212b,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,এবারের মতো এত আগ্রহ জনগণের মধ্যে দেখিনি: প্রধানমন্ত্রী,"এটা আমার বিজয় না, এটা জনগণের বিজয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৮ বার নির্বাচন করেছি কিন্তু এবারের মতো এত আগ্রহ জনগণের মধ্যে দেখিনি।আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গণভবনে নির্বাচন পরবর্তী দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আটবার নির্বাচন করেছি।, এবার আবার। এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাবা যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, আমাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এ বিজয় জনগণের বিজয়।তিনি বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না।বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, আমাদের দেশের কথা বলবেন। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce8c4d4fa,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,২৯৮ আসনের ফল ঘোষণা ইসির,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ফল ঘোষণা করেন।সিইসি জানান, ২৯৮ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া একটি কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল হওয়ার কারণে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফল স্থগিত করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের পরে এই আসনের ফল প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি শনিবার ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce959dc33,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার গঙ্গাসাগরে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে মমতার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তিনি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গঙ্গাসাগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশে খুব ভালোভাবে নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় ফিরেছে। হাসিনাদিকে আমি শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাই। তার পরিবারকেও শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন।’শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বহুদিনের পুরোনো। তারা যথেষ্ঠ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর গ্রীষ্মে মমতাকে আম পাঠান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ।উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce8872b9d,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,সংসদে বিরোধী দল গঠন নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ বিষয়ে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কে হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লিডার অব দ্য হাউস অর্থাৎ যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সরকার গঠন করে তিনি তার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আমাদের ইশতেহারে দেওয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব। আগামী বাংলাদেশ হবে স্মার্ট ও সমৃদ্ধ। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce974c6ee,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে যে লক্ষ্যের কথা বললেন মোদি,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) মোদির অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টেে অভিনন্দন জানানোর কথা উল্লেখ করা হয়।এক্স-এ দেওয়া সেই স্ট্যাটাসে মোদি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce962b8a6,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,অভিনন্দন বার্তা নিয়ে গণভবনে পাকিস্তানের হাইক‌মিশনার,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে পা‌কিস্তান। সেই অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।আজ সোমবার সকালে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এ সময় শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।ঢাকার পা‌কিস্তান হাইক‌মিশন জানায়, গতকাল রবিবার অনু‌ষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য শেখ হা‌সিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন হাইক‌মিশনার।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ফল ঘোষণা করেন।সিইসি জানান, ২৯৮ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce92dab96,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী,"মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে গণভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধীদলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?’জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছেন কি না।’বিবিসির সাংবাদিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।’বিরোধীদলবিহীন নির্বাচন এবং অর্ধেকের কম ভোট পড়া নিয়ে করা অপর প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যদি এখানে গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন। মানুষের অংশগ্রহণই বড় কথা।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেননি।’ ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce9846a16,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,"আ. লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ভোট কীভাবে কমেছে, ব্যাখ্যা দিলেন জাহাঙ্গীর","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থন পাওয়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হেরে গেছেন। দুটি আসনে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দুই প্রার্থীকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি।ওই দুজন হলেন গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল ও গাজীপুর-২ আসনের কাজী আলীম উদ্দিন।তবে গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান প্রায় ১৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন।বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী গাজীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোটতিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট।গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটির একাংশ ও গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১২৯ ভোট।এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি হারিনি, হেরেছেন তারা (আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জাহিদ আহসান রাসেল)। তারা আওয়ামী লীগকে দুর্বল করেছেন। দুই মন্ত্রীর বোঝা উচিত ছিল, আওয়ামী লীগের লোকজন ২ লাখ ভোট তাদের বিপক্ষে দিয়েছে।’ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০১৮ সালের ভোটে আ ক ম মোজাম্মেল পাইছিলেন প্রায় ৪ লাখ ভোট। এ বছর পাইছেন ১ লাখ ভোট। তাহলে আওয়ামী লীগের ৩ লাখ ভোট তার থেকে সরে গেছে। আর জাহিদ আহসান রাসেল পাইছিলেন পৌনে ৫ লাখ ভোট। এবার ৩ লাখ ভোট ছুইটা গেছে। তার মানে দেখেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর ভোট আওয়ামী লীগ থেকে ছুটে গেছে।’আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, গত বছরের ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। খেলাপি ঋণ থাকার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আপিল করেও মনোনয়ন ফিরে না পাওয়ায় মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে থাকায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। নিজের মনোনয়ন বাতিল, দলীয় পরিচয় হারানোর পরও মাকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে দৃঢ় অবস্থান নেন জাহাঙ্গীর আলম। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন।এর আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় পদ হারাতে হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় মেয়র পদ থেকে। তার বরখাস্তের পেছনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের হাত ছিল বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম।এ কারণে এবার সংসদ নির্বাচনে নিজে প্রার্থী না হয়ে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ আসনের কাজী আলীম উদ্দিন ও গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামানকে সমর্থন দেন জাহাঙ্গীর আলম।গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এই তিন প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালান জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাজীপুরে পাঁচটি আসনের চারটিতেই জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একটি আসনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি চারটি আসনের প্রার্থীর পক্ষে ছিলাম। সেখানে দুজন প্রার্থী হেরেছেন। কিন্তু অন্য দুজন জিতেছেন। আমি সিমিন হোসেন রিমির (গাজীপুর-৪) পক্ষেও ছিলাম। শুধু রেজাউল ও আলীম উদ্দিন হারছেন। মন্ত্রী হওয়ার পর ভোট কমছে, এর মানে হলো তারা এলাকায় সুশাসন দেননি, নেতাদের মূল্যায়ন করেননি। ক্ষমতায় থাকার পর ভোট কমে কীভাবে? এটা প্রমাণের জন্য ভোটে স্বতন্ত্রদের সাপোর্ট দিয়েছি আমি।’নির্বাচনে যে অবস্থান নিয়েছেন, সে জন্য চাপের মুখে পড়তে পারেন কি না—জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তারা আগেও আমার ক্ষতি করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন; তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আওয়ামী লীগ করে আসছি, দুঃসময়েও আওয়ামী লীগ করি।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2975f2f,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিতে না পেরে যা বললেন মাহি,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি তার আসনে ভোট দিতে পারেনি। কারণ তিনি ওই এলাকার ভোটার নন। তিনি ঢাকার ভোটার।এক প্রতিক্রিয়ায় মাহি বলেন, ‘আমি এ দেশের নাগরিক এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’এদিকে এ আসনের আরেক প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত ওমর ফারুক চৌধুরীও নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না। কারণ তিনিও সেখানকার ভোটার নন। তার আদি বাড়ি তানোর উপজেলায় কলমা ইউনিয়নের চৌরখোরে। কিন্তু তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০১ সাল থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটার। তিনি এখান থেকে প্রতিবার ভোট দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, মাহিয়া মাহি তানোরের ভোটার না। এ ছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীও তানোরের ভোটার না। তিনি শহরের ভোটার। নির্বাচনী আসনে ভোটার হতেই হবে এমন নয়।এ বিষয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, ভোটার হতে হবে এটা যদি বড় বিষয় হতো, তাহলে কেউ ভোট করতে পারত না। আমি এ দেশের নাগরিক এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।এরআগে মাহি বলেছিলেন, ‘আমি ঢাকার উত্তরার ভোটার। সাধারণত সেখানেই ভোট দেওয়া হয়। কিন্তু এবার নির্বাচনের কারণে যেতে পারছি না। তবে চাইব, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষেরা যেন তাদের ভোটটা দিতে পারেন।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2a229b4,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,ভোটাররা আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী,"ভোটাররা আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে আসছে। নৌকার বিজয় হবেই হবে; এমন মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।আজরবিবার সকাল ৮ টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করছেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য বলেন মন্ত্রী।নওগাঁ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।মন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের উৎসব তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোটাররা উৎসব মুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রদান করছেন। আগুন সন্ত্রাস যেন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, ভোট দিয়ে এটাই প্রমান করতে চান ভোটাররা।’পরে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুই উপজেলা পোরশা ও সাপাহারের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce29e19a3,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,জয় নিয়ে আশাবাদী শমসের মবিন,"তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন, সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী নিজের ভোট দিয়েছেন। আজ রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় আম্বরখানা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন তিনি।পরে সাবেক এই বিএনপি নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটারদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। এবার অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে আশা রাখি। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’নিজের নির্বাচনি এলাকায় ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।শমসের মবিন বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রার্থীদের মধ্যেও সহমর্মিতা রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ। গত দুই নির্বাচনে নানা কারণে ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। এবার সুযোগ পেয়ে তারা ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।’নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন আরও বলেন, ‘আমরা নতুন দল হিসেবে এবার প্রস্তুতির সময়ও কম পেয়েছি। তবু আশা করছি, তৃণমূল বিএনপি অনেক ভালো করবে।’সিলেট-৬ আসনে (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) শমসের মবিন ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ; জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী, সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিন; স্বতন্ত্র প্রার্থী, কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরোয়ার হোসেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2cafa07,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিয়ে ‘যে বিশ্বাসের’ কথা জানালেন রাঙ্গা,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। আজ রবিবার সকাল ১০টায় নির্বাচনীয় এলাকার গংগাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গার্লস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।তিনি লাঙ্গল প্রতীকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এবারে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। ভোট দিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমি গংগাচড়াবাসীর উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। প্রত্যাশিত উন্নয়ন করেছি। গংগাচড়াবাসী আজকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে পুনরায় জয়ী করবেন এই বিশ্বাস আমার আছে।’ এ সময় তিনি গংগাচড়াবাসীকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। পরে তিনি অন্যান্য ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। রংপুর-১ (গংগাচড়া ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৮নং ওয়ার্ড) আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মশিউর রহমান রাঙ্গা ছাড়াও রয়েছে গংগাচড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র আসাদুজ্জামান বাবলু ‘কেটলি’, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার হোসেন ‘হাতুড়ি’, তৃণমূল বিএনপি’র বদরুদ্দোজা চৌধুরী ‘সোনালী আঁশ’ (পাট), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায় ‘ডাব’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ‘মোড়া’ এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনুর আলম ‘ঈগল’ প্রতীক।এই আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ২১৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫ জন ও পুরুষ ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন রয়েছে। এখানকার ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৬টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকলেও মূলত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘কেটলি’ ও ‘ট্রাক’ প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2d83820,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে পীরগঞ্জবাসী: স্পিকার,"জাতীয় সংসদের স্পিকার ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘নৌকার সরকার থাকায় সারাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে পীরগঞ্জে। উন্নয়নে বদলে যাওয়া পীরগঞ্জবাসী নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।’আজ রবিবার সকালে উপজেলার লালদীঘির ফতেপুরের মকিমপুর ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। এ সময় ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুর বাড়ি ফতেপুর গ্রামের ভোটার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।উল্লেখ্য, রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘নৌকা’ ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর আলম যাদু মিয়া ‘লাঙ্গল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হুমায়ুন ইজাজ ‘আম’, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির জাকারিয়া হোসেন ‘হাতঘড়ি’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহবুল আলম ‘ডাব’, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ‘ট্রাক’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকিয়া জাহান চৌধুরী ‘কাঁচি’ প্রতীকে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৮ জন, পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৫২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। এ আসনের ১১১টি ভোটকেন্দ্রের ৭১২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নৌকা বিজয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাঙ্গলের পাশাাশি আলোচনায় আছে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2936193,আমাদের সময়,০7 জানুয়ারি ২০২৪,ভোট দিয়ে যা বললেন মাশরাফি,"আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা ভোট দিয়েছেন। আজ রবিবার সকাল পৌনে ১১ টায় নড়াইল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।ভোট দানের পর উপস্থিত সাংবাদিকের মাশরাফি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট। তবে শীতের সকালে কিছুটা কম উপস্থিত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করি।’নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান মাশরাফি।মাশরাফির আসনে (নড়াইল সদরের আংশিক ও লোহাগড়া) মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জন। এ আসনে ১৪৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য ৮০৪টি ভোটকক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।এই আসনে মাশরাফি ছাড়াও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2f1fe31,আমাদের সময়,০7 জানুয়ারি ২০২৪,বাবা-মা-ভাইয়ের কবর জিয়ারতের পর ভোট দিলেন সেলিম ওসমান,"বাবা-মা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারতের পর ভোট দিলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান। আজ রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হেরিটেজ স্কুলে ভোট দেন তিনি।এ সময় তার এজেন্টসহ অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ২টি ও বন্দরের ৫ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৭৫টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৮৮টি। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৮ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৬ জন। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী।এরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে একেএম সেলিম ওসমান (লাঙ্গল, জাতীয় পার্টি), এএমএম একরামুল হক (চেয়ার, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া (সোনালী আঁশ, তৃণমূল বিএনপি), ছামসুল ইসলাম (একতারা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce9b9be64,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,"ময়মনসিংহে ভোট ১৩ জানুয়ারি, নওগাঁয় ১২ ফেব্রুয়ারি","দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের একটি কেন্দ্রের এবং নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের একজন প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে স্থগিত হওয়া ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।গতকাল রবিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে বিকেলে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি দখল ও ভাঙচুর করে ছয়টি ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই আসনে নৌকা এগিয়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের পার্থক্য এক হাজারেরও কম থাকায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।ওই একটি কেন্দ্র ছাড়া সব মিলিয়ে ময়মনসিংহ-৩ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। ফলে ওই কেন্দ্রের ভোটের ফলের ওপর দুই প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ভর করছে।আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসনের বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী মো. আমিনুল হকের মৃত্যুজনিত কারণে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে এর পরদিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এর পরদিন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি এই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তবে এই আসনে যারা আগেই মনোনয়নপত্র ও জামানত জমা দিয়েছেন তাদের নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cea1d39e0,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,‘নবনির্বাচিত সরকারের’ প্রতি যে আহ্বান জানালেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান,"বাংলাদেশের ‘নবনির্বাচিত সরকার’কে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। আজ সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে এ আহ্বান জানান তুর্ক।বিবৃতিতে রোববারের নির্বাচনের পরিবেশ সহিংসতা এবং বিরোধীপ্রার্থী ও সমর্থকদের দমনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘ভোটের কয়েক মাস আগে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক কিংবা ভয় দেখানো হয়েছে। এ ধরনের কৌশল সত্যিই প্রকৃত প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়।’তুর্ক বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি যাতে সব বাংলাদেশির মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বিবেচনায় নেওয়া হয় এবং দেশে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।’বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্যালটের আগে গণগ্রেপ্তার, হুমকি, গুম, ব্ল্যাকমেইলিং এবং নজরদারির মতো সব পদ্ধতিই আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ব্যবহার করেছেন। আর এই ভোট প্রধান বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বয়কট করেছে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গত ২৮ অক্টোবর থেকে প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; যাদের মধ্যে প্রধান বিরোধীদলের নেতারা রয়েছেন। গত দুই মাসে অন্তত ১০ জন বিরোধী সমর্থক হেফাজতে মারা গেছে অথবা নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে আটকের পর সম্ভাব্য নির্যাতন বা কঠোর অবস্থার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে এবং কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এছাড়া কয়েক ডজন সন্দেহভাজন জোরপূর্বক গুমের ঘটনার কথা জানা গেছে; যার বেশিরভাগই গত নভেম্বরে ঘটেছে। এসব ঘটনা অবশ্যই স্বাধীনভাবে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচারের আওতায় আনতে হবে।’তুর্ক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় এবং নির্বাচনের দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অনিয়মের ঘটনাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করা উচিত।তিনি বলেন, ‘কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে এবং এটাকে খেলার সামগ্রীতে পরিণত করা উচিত নয়। বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল হয়েছে এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও তা প্রতিফলিত হবে। সব বাংলাদেশির ভবিষ্যৎ হুমকিতে আছে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce9846a16,আমাদের সময়,০7 জানুয়ারি ২০২৪,গাজীপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে মার্কিন প্রতিনিধিদল,"গাজীপুরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় গাজীপুর-৩ আসনের মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ ও মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ দুটি পরিদর্শন করেন তারা।পরিদর্শনের সময় তারা দুই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে নানা বিষয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। তবে এ প্রতিনিধিদলে কারা ছিলেন তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-১ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ওয়াহিদুল আবরার বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে ওভারঅল সবকিছু তারা জানতে চেয়েছেন। তাদের সামগ্রিক বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-২ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ১৫ মিনিটের মতো আমার এখানে ছিলেন। এ সময় তারা ভোট প্রদান দেখেন এবং ভোট নিয়ে নানা বিষয়ে জানতে চান।নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করেছে কিনা, এসব বিষয়ে জানতে চান। তাদেরকে ভোটকেন্দ্রের সামগ্রিক বিষয়ে অবহিত করা হয়।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cea24b68b14,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি আজ,"গ্রেপ্তার না দেখানো নাশকতার ৯টি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এ শুনানি গ্রহণ করবেন।আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর ফখরুলের এই ৯টি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেননি ঢাকা সিএমএম আদালত। এ সংক্রান্ত রিট করলে হাইকোর্ট জামিন শুনানি গ্রহণের নির্দেশ দেন। ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সকালে ফখরুলকে আটক করে ডিবি। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cec1e8e76,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,বনানী কবরস্থানে স্বজনদের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা,"রাজধানীর বনানী কবরস্থানে স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার পর স্বজনদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন তিনি।এছাড়া তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।নির্বাচন কমিশন গতকাল দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি আসন। ১১টি আসন জিতেছে জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাসদ (নৌকা প্রতীক নিয়ে) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রর্থীরা জয় পেয়েছেন ৬২টি আসনে। ফলে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cec5638ba,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ কাল," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে গত রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট আজ মঙ্গলবার হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সূত্র জানায়, গেজেট প্রকাশ হলে আইন অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করতে হবে নতুন সংসদ সদস্যদের।সংসদ সচিবালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, দ্বাদশ সংসদের নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এমপিদের শপথের আগে নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শিরীন শারমিন নিজেই শপথ নেবেন। এরপর তিনি অন্যদের শপথ পাঠ করাবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের পরই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cecc8274d,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে যা বললেন ভারতীয় পর্যবেক্ষক," বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ঢাকায় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসাবে ভারত থেকে আসেন সাবেক আমলা অমিতাভ রায়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভ্যালেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, রোববার সকাল আটটা থেকে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেন্দ্র থেকে শুরু করে অনেকগুলি জায়গায় ঘুরেছেন। ভোটকেন্দ্রের অবস্থা দেখেছেন। তাদের মনে হয়েছে, ভোটার অনেক কম।তিনি জানান, একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৩৭ জন, বেলা বারোটা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছিল ২৯২টি। এজন্য অমিতাভ তিনটি কারণের কথা বলেছেন।‘প্রথমত, এবার নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ভোট দেয়ার বিশেষ তাগিদ ছিল না, দ্বিতীয়ত, সকাল থেকে বেশ ঠান্ডা ছিল, তৃতীয়ত, মূলত নতুন ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে।’তিনি বলেন, বাংলাদেশে এবার এক কোটি ৫৪ লাখ নতুন ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। তারাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহী ছিল।অমিতাভ বলেছেন, ''মোট ১৫৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ভারত থেকে তিনজন গেছেন। অন্য কিছু সংগঠনের আমন্ত্রণেও কেউ কেউ গিয়েছিলেন। আর বিদেশ থেকে রিপোর্টার গিয়েছিলেন ৭১ জন।''অমিতাভ জানিয়েছেন, তিনি যে সব কেন্দ্রে ঘুরেছেন, সেখানে রিগিং বা ছাপ্পা ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। তিনিও সেরকম কিছু দেখেননি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর ভিড় ছিল। ভিতরে ভোট কম পড়লেও বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক মানুষ।ডয়চে ভ্যালের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ফিরে এসে একমাসের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন পর্যবেক্ষকরা। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceccd7e1a,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে: জোনায়েদ সাকি," গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘তামাশার নির্বাচন বর্জন করে জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’আজ মঙ্গলবার গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হোন তামাশার নির্বাচন, জনগণের প্রত্যাখ্যান ও চলমান আন্দোলন’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের ক্ষমতা নবায়ন করার যে তামাশার নির্বাচন তা জনগণ সর্বতোভাবে বর্জন করেছে। এই গণ রায় প্রদান করায় জনগণকে গণতন্ত্র আকাঙ্ক্ষিত সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’ ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cecd5c6a8,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, আওয়ামী লীগের যৌথসভা বিকেলে," আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ।দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cece6c095 ,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, সর্বসাধারণের সঙ্গে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।এ উপলক্ষে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গণভবনে আজমঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এবং মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও ডিন অব দ্য ডিপ্লোমেটিক কোর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গণভবনে এই সাক্ষাৎ হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ced572f1d,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," বিরোধী দল কারা হবে, জানালেন আইনমন্ত্রী"," বিরোধী দল কারা হবে তা সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্রদের অবস্থান ঠিক হওয়ার পর জানা যাবে কারা বিরোধী দল হবে। স্বতন্ত্ররা যদি আওয়ামী লীগে আসতে চান তাহলে আসতে পারবেন।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবারও শেখ হাসিনাই সংসদ নেতা। তিনি ঠিক করবেন কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণ যখন ভোট দেয় তখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়। জনগণ ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে। অংশগ্রহণমূলক ভোটও হয়েছে।’কাল যারা শপথ নিতে পারবেন না, নিয়ম অনুযায়ী তারা পরে নিতে পারবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আপনাদের আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। কাল শপথের পরে স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তা জানা যাবে। স্বতন্ত্রদের অবস্থা ঘোষিত হওয়ার পরে বা নির্ণয় করার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যখন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মার্কাও ছিল আলাদা, নৌকা মার্কায় তারা নির্বাচিত হননি। নৌকা মার্কায় শুধু নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের, এটা মুখের কথা হতে পারে। কিন্তু আইনের কথা, বাস্তবতার কথা সেটা নয়। তার স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবেই থাকবেন, তাহলে দেখা যাবে যে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন তখনই বিরোধী দল কারা হবেন সেটা পরিস্কার হবে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cdfbb4508,আমাদের সময়, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪," নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন, পুলিশ পাশে আছে: আইজিপি"," পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘আপনারা নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব। সকল ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অক্ষুণ্ন রাখতে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, সমস্যা হলে আমাদের জানান। আমরা বাংলাদেশ পুলিশ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’আজ শনিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।আইজিপি বলেন, ‘আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা আজ রাত থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছে। আগামীকাল সকল নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রে আসবেন। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ-আনসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসাররা কেন্দ্রে চলে এসেছেন সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসন মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করব। আশা করি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হব।’তিনি বলেন, ‘মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, রিজার্ভ ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড, র‌্যাবের হেলিকপ্টারসহ সমগ্র জনবল নিয়ে পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করি, নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে যেকোনো নাশকতা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতাকারীর তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্যের গুরুত্বানুসারে সেই পুরস্কারের অর্থ ২-৩ লাখও হতে পারে। তবে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রেখে, নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে, কারা ঘটিয়েছে আপনাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার। আমরা মাগুরাতে একজন ধরেছি, তার মোবাইল থেকে জানা গেছে, তাদের নির্দেশনা রয়েছে সারাদেশে পটকা, ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নাশকতাকারীদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, কিছু প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, সেগুলো প্রতিহত করা হয়েছে।’বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু আসামি গ্রেপ্তার করেছি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছি না, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ধারণা পরিষ্কার করার চেষ্টা করব। আমরা এখনও তদন্ত করছি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ট্রেনের ভেতর থেকে আগুন লাগানো হয়েছে। তবে যখন নিশ্চিত হব, তখন আমরা সকল তথ্য জানাব।’ট্রেনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা সবগুলো ট্রেনে স্থাপন করছি। বেনাপোল এক্সপ্রেসে এখনও স্থাপন করা হয়নি। এটি স্থাপন করতে সময় লাগে, আমরা এখনো সবগুলো শেষ করতে পারিনি।’তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আমরা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি। যখন পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাব আপনাদের জানাব। গাজীপুরের তথ্য যখন পেয়েছি, সবাইকে অবহিত করেছি।’অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল না। দুষ্কৃতকারীরা কাউকে জানিয়ে কিছু করে না। হঠাৎ করে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, যখনই এমন ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পাব, ব্যবস্থা নিব। তবে দেশব্যাপী বড় ধরনের নাশকতার কোনো সক্ষমতা নেই।’আগামীকাল কোনো নাশকতার হুমকি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও এমন কোনো আশঙ্কা করছি না। সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা ৮-৯টা কেন্দ্রে হয়ত নাশকতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু করার সাহস পায় না। দেশবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত। দেশবাসীর সহায়তায় সকল ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয় তৈরি থাকবে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আমরা সহায়তা করছি মাত্র। আমরা আমাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেভাবে দরকার সেভাবে পালন করব।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018c86e8ac50,আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে যা বললেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট," লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্টড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সমাজে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, এটা শুধু এককভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা নয়, সমগ্র দেশ ও সমগ্র জাতির সমস্যা। সুতরাং সকলকে ঐক্যবন্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায় এই ধরনের অন্যায়-অবিচার সমাজকে গৃহযুদ্ধের দিকে বা রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবে।আজ বুধবার বিকেলে এলডিপি কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অলি। তিনি জানান, ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর লিফলেট বিতরণ ও ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ।এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আওয়ামী বাকশালিরা চায় তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড জায়েজ করার জন্য যেনতেনভাবে পুনরায় ক্ষমতা দখল নিতে। আমরা চাই জনগণের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে, সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে।’ড. অলি আহমদ বলেন, ‘দুর্নীতি, অন্যায় ও অবিচারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে না। বরং এই হটকারি ভাগাভাগির নির্বাচনের কারণে দেশ ও জনগণ এক গভীর সংকটে পড়বে। ক্ষমতা লোভীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই নির্বাচন কখনো গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজনিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি। কোনো অবস্থাতেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আল্লাহ প্রদত্ত এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। চিরতরের জন্য দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, নির্যাতন ও নিপিড়নকারীদের বর্জন করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না, নতুন উদ্যোমে সাহসের সাথে বর্তমান সরকারকে না বলতে হবে। সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজে যুব সমাজকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা হবে। এই ভাগাভাগির একদলীয় নির্বাচন বর্জন করুন। দেশ বাঁচান।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018c8bd77448,আমাদের সময়,২১ ডিসেম্বর ২০২৩, মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাবেন: নৌ প্রতিমন্ত্রী," নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সারা দেশের মতো আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। নির্বাচনের সাড়া পড়ে গেছে। মানুষ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাবেন। একটি জাগরণ তৈরি হয়েছে। মুখরিত প্রচারণা চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সুসমন্বিত উন্নয়নে বিশ্বাসী।’আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় সন্দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সন্দ্বীপে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জেটি আছে। সন্দ্বীপের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাতে চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ‘বয়া’ বসানো হয়েছিল।’নতুন জেটি ও টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন এ জেটি নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। পর্যটন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চারিত হবে। সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজটি করবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এ এস এম আশরাফুজ্জামান এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce3b24ec6,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪," কোন বিভাগে কত ভোট পড়েছে, জানাল ইসি"," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রথম সাত ঘণ্টায় সারা দেশে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ার এই হিসাব নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।জাহাংগীর আলম জানান, ঢাকা বিভাগের ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ২৬ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২৬ শতাংশ এবং বরিশাল বিভাগে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।ইসি সচিব বলেন, ‘দুয়েকটা উপজেলার কেন্দ্রের তথ্য হালনাগাদ নাও হতে পারে, সে কারণে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’তিনি আরও জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন অভিযোগে ৭টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে। জাল ভোট দেওয়া ও জাল ভোট দিতে সহায়তায় করায় ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।এর আগে ভোটের প্রথম চার ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।এরআগে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অবশ্য আশা প্রকাশ করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ভোটের হার ৫০ শতাংশ ছাড়াতে পারে।উল্লেখ্য, কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এ ছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, ভোটে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে গড়ে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৩টা পর্যন্ত গড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৭ শতাংশ, বরিশালে ৩১ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৬ ভাগ, ময়মনসিংহতে ২৯ ভাগ ও রংপুর বিভাগে ২৬ শতাংশ।শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতারের নির্দেশরোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটে। ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে, পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়।নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, সকালে একদল কর্মী নিয়ে কেন্দ্রটিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারেন। এ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্রে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। পরে ঘটনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলমকে জানানোর পরপরই তিনি ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেন।পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিইসি বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পরপরই আমাকে জানাবেন।’নরসিংদী-৪ আসনে ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নে ১৫৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৮২৭ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।সারাদেশে বাতিল হলো যেসব কেন্দ্রের ভোটদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে নানা আলোচনার মধ্য অন্যতম একটি হচ্ছে এবার সংসদে বিরোধী দল হবে কোন দল। প্রার্থীর ভোট বর্জনবাইরে ব্যাপক উপস্থিতি, ভেতরে ফাঁকানিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা-৫ আসনের ডেমরার এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় ও সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি হাতেগোনা। কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা গেলেও ভিতর অনেকটাই ফাঁকা।ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজলের অভিযোগ, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না নৌকার প্রার্থীরা। একই সঙ্গে এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এ দুই কেন্দ্রের বাইরে নৌকা, ট্রাক ও ঈগলের সমর্থকদের ভিড়। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। ভোটারদের অপেক্ষায় পোলিং অফিসাররা।পুরুষ ভোটারকেন্দ্র এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৫৩ জন। বেলা ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় সাতটি বুথে পড়েছে ৩৫১ ভোট। নারী ভোটারকেন্দ্র পাশের সারুলিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৬ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ৭০টি, বাকি দুই ঘণ্টায় বেড়ে ২৭২ ভোটে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজল আমাদের সময়কে বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহু লোক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। কারণ, আমার ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্ট থাকলেও ভোটার ভেতরে আসতে না পারলে লাভ কী? আমার সামনেই আমার এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। অধিকাংশ কেন্দ্রে তাই হচ্ছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম এ ছাত্তার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কাউকে ভয়ভীতি দেখানোর কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট কম পড়ছে। মজিবুর রহমান বলেন, যারা ভোট দেওয়ার দিয়েছে। ধীরে ধীরে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিকঠাক আছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম মনে হচ্ছে।এদিকে এ আসনে ১৩ জন প্রার্থী থাকলেও পোলিং অফিসার দেখা গেছে মাত্র তিন প্রার্থীর। ট্রাক ছাড়াও নৌকা ও ঈগলের পোলিং অফিসার রয়েছে। বাকি প্রার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ আসন ডেমরার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। তাদের ভোটগ্রহণ চলছে ১৮৭টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৮৯টি ভোটকক্ষে।জিহাদুল ইসলাম ও আজাদুল আদনান",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ce2ad4617,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪," না আসলে একটা ভোট নষ্ট হইতো, মায়া লাগে"," ঢাকা-৭ আসনের ভোটার রাশিদা বেগম। বয়স পয়তাল্লিশ। একমাস আগেই কোমর এবং হাটু অপারেশন হয়েছে। এক হাতে স্ট্রেচার নিয়ে এসেছেন ঢাকা সাত আসনের ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে।অসুস্থ অবস্থায় ভোট দিতে এসেছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চল্লিশ বছর থেকে কামার বাগ এলাকায় আছি। প্রতিবারই ভোট দিতে আসি। এবারে না আসলে তো একটা ভোট নষ্ট হইতো। মায়া লাগে একটা ভোট নষ্ট হইতে দিতাম না এজন্য অসুস্থ অবস্থায় ভোট দিতে চলে আসছি।’সঙ্গে আসা রাশিদা বেগমের ছেলে বলেন, ‘আম্মা অসুস্থ তারপরও জেদ ধরেছেন ভোট দিতে আসবেন। তাই নিয়ে আসলাম এখন ভোট দিয়ে আম্মা খুশি।’একই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন দুজন নতুন ভোটার মরিয়ম এবং আশা। প্রথমবার ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। জানতে চাইলে মরিয়ম বলেন, ‘প্রথমবার ভোট দিলাম ভালো লাগছে খুব।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ced9dd2a4,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন মন্ত্রিসভার শপথ বৃহস্পতিবার,"আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। শপথ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ দেশের বিশিষ্টজনদের নিমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে।এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথগ্রহণ আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে গত রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৩টি আসন।নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট আজ মঙ্গলবার প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ নিতে হবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cecc00ed4,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ‘আমি কিন্তু তাদের মতো দুর্বল না’," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে তিনি পরাজিত হয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া নির্বাচনী আসনে ১৫৮টি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯। ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার।নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রথমবার ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন মাহিয়া মাহি। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তিনি বলেন, ‘সবাই নিশ্চয়ই ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। হ্যাঁ, কিছুটা মন খারাপ তো হবেই। কারণ নির্বাচন একটা গেইম, সেই গেইমে আমি হেরে গেছি। মন খারাপ কিছুটা, কিন্তু ওই রকম লেভেলের না। কারণ প্রত্যেকটা সিচুয়েশনেই মাথায় রাখি যে, নেগেটিভ কিছু হতে পারে। তাই প্রত্যেকটা সিচুয়েশনের জন্যই আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’এ সময় মাহি তার ইশতেহারে বলা কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নিতে নতুন সংসদ সদস্যকে (এমপি) আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইশতেহারে যেমনটা বলেছিলাম, নারীদের প্রত্যেকটা ঘর হবে কর্মসংস্থান, তরুণরা হবে উদ্যোক্তা। তো এই কাজটা আমি বড় পরিসরে কতটুকু করতে পারব জানি না! কারণ এই কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারিভাবে যতটা উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব, তা ব্যক্তিগতভাবে আসলে একটু চ্যালেঞ্জিং। তারপরও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যথেষ্ট করার চেষ্টা করব। এবং আমার ভীষণ ইচ্ছে ও প্রতিশ্রুতি ছিল- বরেন্দ্রভূমির রাস্তাঘাট নিয়ে। সারা বাংলাদেশে যেখানে রাস্তাঘাট এত উন্নত, সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে রাস্তাঘাটের যে বেহাল দশা, এখনও বৃষ্টি হলে হাঁটু কাদা হয়ে যায়। এখনও গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। তো এই রাস্তাঘাট ও বরেন্দ্রভূমির পানির যে সংকট, মোটর সমস্যা- যিনি নতুন এমপি হয়েছেন তাকে অনুরোধ করব এই বিষয়গুলোতে ফোকাস করতে। তিনি গত ১৫ বছরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেননি, এবার ৫ বছরে যেন এটা করেন। তার যে জনপ্রিয়তা একেবারে শূন্যের কোটায় চলে এসেছিল, সেটা তিনি যেন এই ৫ বছরে কাটিয়ে ওঠেন। তা না হলে আমি কিন্তু মাঠে আছি, আগামী নির্বাচনে আবারও দেখা হবে আপনার সঙ্গে।’এমনকি প্রতিপক্ষকে সতর্কও করেছেন মাহি। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে বলছি, আগামী ৫ বছরে যে সমস্ত কর্মীরা আমার জন্য মাঠ পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কাজ করবে, তাদের কোনো প্রকার ডিস্টার্ব যদি আপনারা করেন, মনে রাখবেন আপনাদের সঙ্গে অন্যান্য যে সমস্ত প্রার্থীরা টক্কর দেন, আমি কিন্তু তাদের মতো দুর্বল না। আমার কর্মীদের যদি অল্প অপমানও আপনারা করেন, সেটাও প্রতিহত করার জন্য সর্বোচ্চভাবে আমি নিজেই লড়ব। আমার জন্য যারা এই নির্বাচনে কাজ করেছে, তাদের জন্য দরকার হলে আমি জানও দিয়ে দিতে পারি। তো তাদের প্রতি আপনারা সফট থাকবেন, বিশেষভাবে আমার কর্মীদের জন্য। আগামী ৫ বছরে আপনারা এমন এমন কাজ করবেন যেন, মানুষের হৃদয়ে আপনাদের জায়গা হয়ে যায়। এটা যিনি নতুন এমপি হয়েছেন তার প্রতি আমার পরামর্শ।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceed9fbc6,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আজ মঙ্গলবার বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে একতরফা প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশ করে এ দাবি জানানো হয়।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের ডামি নির্বাচনকে বর্জন করে দেশবাসী আওয়ামী লীগকে সর্তক সংকেত দিয়েছে। এটা কোনো নির্বাচন ছিল না। এটা ছিল নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চায়ন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠনের দেউলিয়াত্ব ও দৈন্যদশা প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচন বর্জন করায় চরমোনাই পীরের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানাই। মিডিয়ার সুবাদে বিশ্ববাসী ভোটের নামে একতরফা দলীয় কাউন্সিল দেখেছে। যেখানে বিদেশিদের ভাড়া করে ডামি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। ডামি নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষার আহ্বান জানাই।’সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, কেএম শরয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, হাফিজুল হক ফাইয়াজ, আল আমীন সোহাগ, মাইদুল ইসলাম সিয়ামসহ আরও অনেকে।সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পল্টন মোড় এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cee65de31,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন," কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চীন প্রস্তুত। আজ মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।ব্রিফিংয়ে মুখপাত্রের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে চীনের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় চীন বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ায় আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন। বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে চীন নির্বাচনের পর দেশটির আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’মাও নিং বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহাবস্থান, পারস্পরিক সুবিধা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর ভিত্তি করে চীন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বেল্ট অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের আওতায় যোগাযোগ সহযোগিতা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।’এদিকে, বাংলাদেশের নতুন সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করতে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন করতে পেরেছে বলে আমরা অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়।’আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে চীন। বাংলাদেশের নতুন সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করতে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cee305247 ,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,নবনির্বাচিত এমপিদের গেজেট প্রকাশে অনুমোদন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের অনুমোদর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।মো. আলমগীর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্যদের গেজেট নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেছে। তা প্রকাশের জন্য সচিবকে বলা হয়েছে। কমিশনাররা স্বাক্ষর করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যাবে।তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগ। তাদের (বিজি প্রেসের) কাছে একটি সফট কপি দেওয়া থাকে। কোনো কারেকশন যদি থাকে তাহলে কারেকশনটা বলে দেওয়া, না হলে ওটাই প্রিন্ট করে দেওয়া। তারপর আজকেই হয়তো সংসদ সচিবলায়ে চলে যাবে।’সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হবে। সে অনুযায়ী আগামী বুধবার সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceef2ec0d,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," ভারত-চীন-রাশিয়া অভিনন্দন না দিলে যুক্তরাষ্ট্র কী করত, জানালেন তথ্যমন্ত্রী"," তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি, চীন, রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে, আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা ইতিমধ্যেই না দিত বা এই অভিমত ব্যক্ত না করত—তাহলে হয়তো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিটা অন্য রকম হতো বলে আমার ধারণা।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।‘নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক’, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিল। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছে।’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গণেও আমরা এক সাথে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সাথে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সাথে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে।’‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সাথে যুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলব যে, গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে কিছু বলার জন্য। মানবাধিকার কমিশনের এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে নিয়ে বক্তব্য থাকত এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা “কনডেম” করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদৃষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে, সে নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceeba1975,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের কথা বলতে আমরা সংসদে যাব: জি এম কাদের," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘জনগণের কথা বলতে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাব।’আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হব না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমরা সংসদে যাব।’নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ জন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।’এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cee512525,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," মন্ত্রী হিসেবে কতজন শপথ নেবেন, চূড়ান্ত হয়নি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব"," মন্ত্রী হিসেবে কতজন শপথ নেবেন তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে। আগামী কাল (বুধবার) সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ১১ জানুয়ারি শপথ আয়োজনের জন্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের।’তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের এই শপথ অনুষ্ঠানটা বঙ্গভবনে হয়ে থাকে, এ বছরও বঙ্গভবনে হবে। সন্ধ্যা ৭টার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’মন্ত্রী হিসেবে কতজন শপথ নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা শপথের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘বঙ্গভবনের যেখানে শপথ হবে সেখানকার প্রস্তুতি, আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করতে হয়, বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি কোথায় অনুষ্ঠানটা হবে, অনুষ্ঠানের জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয় সেগুলোই করছি।’যারা মন্ত্রী হবেন তাদের ফোন দেওয়া হচ্ছে কি না বা তাদের বায়োডাটা পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই অংশটুকুর কাজ শুরু করিনি। নির্দেশনা পেলেই সে কাজ শুরু করব।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceeb59476 ,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিদেশি প্রভুদের পরামর্শে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব না: প্রধানমন্ত্রী ," বিদেশি প্রভুদের পরামর্শে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে দলটির নেতাকর্মীরা আজ গণভবনে গেলে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা আজ গণভবনে তার বড় বোন শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচন (বানচাল করতে নেমেছিল। তাদের কিছু (বিদেশি) প্রভু আছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। প্রভুদের পরামর্শে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’তিনি বলেন, ‘জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি। আমাদের কোনো (বিদেশি) প্রভু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের প্রভু ও শক্তি। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের শক্তি।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্রের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী নির্বাচনের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cee88362b ,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন, জানালেন এ কে আজাদ"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে আজাদ জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে বিরোধীদল গঠন করতে ও তাকে বিরোধীদলীয় প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিদেশিরা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।স্বতন্ত্র জোট থেকে বিরোধীদল করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আজাদ বলেন, ‘নেত্রীর (শেখ হাসিনা) আহ্বানে আমরা স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছি, আমরা আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ না। যদি নেত্রী মনে করেন আমাদের বিরোধীদল গঠন করা উচিত, তাহলে হবে। যেহেতু মাত্র ১১টি সিট পেয়েছে জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র পেয়েছে ৬২টি সিট।’এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘অলরেডি আমাকে অনেক বিদেশি ফোন করেছে যে আপনাকে নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে, আপনি বিরোধীদলের নেতা হতে রাজি আছেন কি না? আমি বলেছি যে, সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, ওনার আলোচনার বাইরে তো আমরা যেতে পারব না।’ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এ কে আজাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ভোট ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট। ",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cee746b39 ,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জাপার এমপিরাও শপথ নিচ্ছেন কাল," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে নির্বাচিত ১১ সংসদ সদস্য (এমপি) আগামীকাল বুধবার শপথ নেবেন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সব সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, দলের পূর্ব ঘোষিত বৃহস্পতিবারের সভা বাতিল করা হয়েছে।এর আগে গুঞ্জন ছিল জাপার এমপিরা কাল শপথ নেবেন না। এ নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।উল্লেখ্য, আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত এমপিদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। শপথ পড়াবেন একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceedf04874,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সপ্তমবার নির্বাচিত হওয়ায় রাজুকে অভ্যর্থনা," সপ্তমবারের মতো নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর সহচর রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বিভিন্ন স্তরের শ্রেণি পেশার মানুষ। ভোটের ফল পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যম, সংগঠন ব্যক্তি পর্যায়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।গতকাল সকাল থেকেই উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারের নৌকার প্রধান নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সাক্ষাৎ করেন এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তাকে সপ্তমবারের মতো সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়ায় রায়পুরার ভোটারদেরকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, রায়পুরার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে মেঘনা ব্রিজ, মেডিক্যাল কলেজ এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব¡ দেওয়া হবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceeddaf71,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, রাবিতে সহকারী প্রক্টর পদে নতুন দুই মুখ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহকারী প্রক্টর পদে নতুন দুই শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত একটি আদেশে আগামী এক বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।নিয়োগ পাওয়া দুই সহকারী প্রক্টর হলেন অ্যাগ্রোননি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশনবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম কনক পারভেজ ও ফলিত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হামিদুল ইসলাম। তারা মাসিক আড়াই হাজার টাকা সম্মানি এবং ভাড়ামুক্ত বাসার সুবিধা পাবেন। ,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceee569bb4,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপরবর্তী রাজনীতি," বিএনপি, জামায়াত, বামজোটসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বর্জন এবং নির্বাচন প্রতিহত করার নামে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যা, ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়া এবং টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেল। যা বলা হয়েছিল সেটাই ঘটেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।বাংলাদেশে নির্বাচন বললে দুটি বিষয়ই বেশি আলোচিত হয়। একটি হলো উৎসব, অন্যটি সহিংসতা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা সে মাত্রায় ছিল না, তবে নির্বাচন বর্জনকেন্দ্রিক সহিংসতা ছিল। সেটা অবশ্য নির্বাচনের দিন পরিবেশকে সেভাবে প্রভাবিত করতে পারেনি। উৎসব কতটা হয়েছে সে নিয়ে মিশ্র বক্তব্য আছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় যারা বলছে অংশগ্রহণমূলক হয়নি তারা মনে করে এই নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্ষমতাসীন দল বলছে, সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস করেও মানুষকে নির্বাচন থেকে বড় আকারে দূরে রাখা যায়নি, তাই এই নির্বাচন উৎসবের সঙ্গেই হয়েছে।আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম যে, এই নির্বাচনটি শেখ হাসিনার কাছে কেবল আরেকটি নির্বাচন নয়। শাসনব্যবস্থা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, নির্বাচনকে দৃশ্যমান সুষ্ঠু করতে নির্বাচনের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যেতে হয়েছে তাকে। তাই জাতীয় পার্টি ও নিজের ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে যেমন আসন সমঝোতা করতে হয়েছে, তেমনি কেউ যেন ২০১৪ সালের মতো বিনা ভোটে এমপি হয়ে আসতে না পারে, নির্বাচনের মাঠে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ থাকে সেজন্য নিজ দলের আগ্রহীদের তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছেন। বলতে গেলে একটা ঝুঁকিই নিয়েছিলেন তিনি। দলের প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় স্বতন্ত্রদের লড়াই বিভিন্ন আসনে সংঘাত সৃষ্টি করেছে, সহিংসতা হয়েছে, একে অন্যের বিরুদ্ধে কদর্য ভাষা প্রয়োগ করে বিষোদগার করেছে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত হয়েছে, এই প্রার্থীরা তাদের সাধ্যমতো ভোটার নিয়ে আসতে সচেষ্ট ছিলেন নির্বাচনের দিনটিতে।নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন দেখার পালা শাসক দলের এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত কতটা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখে নিজেদের ভেতর। জেলায় জেলায়, জনপদে জনপদে একই দলের নেতারা এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধিতা, কোন্দল আর হিংসাকে পাশ কাটিয়ে পারবেন কি আবার দলীয় কার্যালয়ে একসঙ্গে বসতে? একই সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে যেতে? তবে বিপুলসংখ্যক দলীয় স্বতন্ত্রের বিজয়, মন্ত্রী-এমপিদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা একটা ধারণা পেলেন, কোন নেতার কোন অঞ্চলে কতটা জনভিত্তি আছে। ধারণা পেলেন, এমপি-মন্ত্রীদের প্রতি দলের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে এত ক্ষোভ কেন?নির্বাচন-পরবর্তী ১৪ দলের শরিক দলগুলো নিয়েও বড় ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে। নৌকা নিয়েও জাসদের হাসানুল হক ইনু, জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশার পরাজয় বুঝিয়ে দিয়েছে তারা বড় নেতা হয়েও জনগণের মাঝে কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারেননি। নৌকায় চড়ে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে নিয়ে নিজেদের দলকে বিলীন করে দিয়েছেন?জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছিল ২৬টি আসন। কিন্তু তারা জিতেছে মাত্র ১১টি আসনে। খোদ ঢাকা-১৮ আসনের পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ থেকে সমঝোতা করে আসন না নিলে একটিতেও জয়ী হতে পারত কিনা এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আগামীতে জাতীয় পার্টির রংপুরকেন্দ্রিক একটা আঞ্চলিক দল হিসেবেও তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারাটাই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম কোনো আবেদনই সৃষ্টি করতে পারেনি নির্বাচনে। দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দুজনেই জামানত হারিয়েছেন। এতে বোঝা গেল হঠাৎ করে এসে কোনো আনুকূল্য পেয়ে রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। এটা তাদের বোঝা উচিত ছিল তখনই যখন আসন ভাগাভাগিতেও তাদের কিছু দেয়নি আওয়ামী লীগ। ব্যর্থতায় শেষ হলো তাদের নির্বাচনি মিশন।প্রশ্ন হলো বিএনপি কী করবে? বছরের পর বছর আন্দোলন করে, বিদেশি দেশ ও সংস্থার কাছে ধরনা দিয়ে, নানারকম সহিংস কর্মসূচি দিয়েও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি দলটি। এখন বলছে, নির্বাচন বাতিল করতে হবে। সেটিও আসলে অর্জিত হবে না। তাই এখন প্রশ্ন হলো দলটি আসলে কোন রাজনীতি করবে এখন। দীর্ঘ সময় ধরে সহিংস আন্দোলন করে যাওয়া সহজ হবে না। সরকার গঠনের পর এসবের দিকে আরও বড় নজর পড়বে সরকারের।দলটি বলছে, নির্বাচনের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। সেটা রাখাই যায়। এক বছর ধরে চলা আন্দোলন সফল হয়নি। তাই নির্বাচনের পরও একইভাবে চললে বিশেষ কিছু ফল হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনের আগে যা হয়েছে, নির্বাচন-পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচিও মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই বোঝা যাচ্ছে। সরকার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা শুরু করলে কর্মসূচি সব হারিয়ে যাবে। বিএনপির আন্দোলন ডালপালা ছড়িয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারবে, সেই পরিস্থিতি দৃশ্যমান নয়।বিএনপিকে তাই শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই করে যেতে হবে। দলের দিক থেকে আগামী সরকারের জন্য আন্দোলনের আগাম চ্যালেঞ্জ সেই অর্থে কোনো চ্যালেঞ্জই নয়। তবে শাসক দলের কাছেও প্রত্যাশা যেন তারাও সহনশীল হয়। জেল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হলে সেটা করে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রকার্য পরিচালনা করাই উত্তম কাজ। প্রতিশোধ স্পৃহা যেন বড় হয়ে দেখা না দেয়।সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা : প্রধান সম্পাদক, গ্লোবাল টেলিভিশন",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018ceef563d64,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নিজ দপ্তরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও জিতেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। নতুনভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল নিজ দপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। দুপুরের পর মন্ত্রণালয়ে আসার পর তাকে ঘিরে আনন্দ-উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা পৃথকভাবে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। যদিও নির্বাচনী ব্যস্ততায় গত কয়েক সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে আসতে পারেননি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এই কয়েক দিনের জমে থাকা অনেক ফাইলও দেখেছেন তিনি। ফাইল দেখার পাশাপাশি তার কক্ষে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্রীড়াঙ্গনের খোঁজখবর নেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। নিজের নির্বাচনে কর্মকা-সহ নানা বিষয়ে খোশগল্পও করেন তিনি। আজ সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণের দিন। এরপর নতুন মন্ত্রীদের শপথ রয়েছে। নতুনভাবে শপথগ্রহণ করার আগ পর্যন্ত মন্ত্রীদের মেয়াদ থাকবে। সবার আগ্রহ ক্রীড়াঙ্গনে নতুন কেউ অভিভাবক হবেন নাকিরাসেলই পুনরায় অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন- তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cea526,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ইউপি চেয়ারম্যান থেকে যে ম্যাজিকে এমপি হলেন তিনি ," ঢাকা-১৯ (সাভার ও আশুলিয়া) আসনে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিমন্ত্রীর শোচনীয় পরাজয়ের ঘটনাই এখন সবার মুখে মুখে। এক স্বতন্ত্রের ট্রাকের চাপায় এবং অন্য স্বতন্ত্রের ঈগলের ঝাপটায় নৌকাডুবির ঘটনায় শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের ব্যবচ্ছেদ। পাশাপাশি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অভাবনীয় বিজয় নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। কোন ম্যাজিকে প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপিকে হারিয়ে একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সবাইকে চমকে দিলেন সেটারই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।এ আসনে ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। বিজয়ী সাইফুলের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৮ হাজার ২১০। আর বর্তমান সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়। বিজয়ী সাইফুলের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ২৮ হাজার ৫১।যেখানে সবাই ভেবেছিলেন মূলত নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের। সেখানে আলোচনায়ই ছিলেন না সাইফুল। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে কেন সাইফুল ইসলামের এ বিজয়?উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিশ্লেষক জানান, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি নিয়ে ডা. এনামের উত্থান ও মুরাদ জংয়ের পতনের ইতিহাসের বুলি কপচিয়ে যখন দুই প্রার্থী পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন, তখন খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের মতো নীরবে এগিয়ে গেছেন সাইফুল ইসলাম।তার নির্বাচনের কৌশলের কাছে হেরে গেছেন সবাই। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ঠিকই ধরতে পেরেছিলেন জনগণ আসলে কী চায়। ভোটের প্রচারে যখন প্রার্থীরা ভালো-মন্দ সব ভোটারের ভোট প্রার্থনা করেন তখন সাইফুল জানান দেন- সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের ভোট তার লাগবে না। এতে আশ্বস্ত হন ভোটাররা।নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে। শুরু হয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ডিগবাজি। ডা. এনামকে ছেড়ে তারা দলে দলে যোগ দেন মুরাদ জংয়ের শিবিরে। আকস্মিক এ ধকল কাটাতে ডা. এনামকে নির্ভর করতে হয় এমন কিছু পতিত ও বিতর্কিত নেতাদের ওপর- যারা ভোটের মাঠে এনামের সঙ্গে থাকায় সাধারণ ভোটারাই ছেড়েছেন তাকে।অন্যদিকে সাইফুল বড় কোনো নেতা নির্ভর না হয়ে পুরো ভোটের মাঠ সাজিয়েছেন ভোটার নির্ভর করে। এ কৌশলের কারণে সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় তিনি নিজেও নীরবে ছিলেন নির্ভার। নির্বাচনে প্রার্থী হবেন সেই প্রস্তুতি নীরবেই নিয়ে রেখেছিলেন বহু আগে। সেই লক্ষ্য পূরণে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছেন জয়যাত্রার পথে।অন্যদিকে ১০ বছর পর মুরাদ জং সাভারে ফেরায় তাকে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। ডা. এনামের পায়ের নিচের মাটি ক্রমেই সরে যাওয়ায় তারা এনামের সঙ্গে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে ঘায়েল করেছেন মুরাদ জংকে। কিন্তু নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় তারা তলে তলে সমর্থন জানিয়েছেন সাইফুলকে।পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শ্রমিকদের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের রয়েছে আন্তরিক সম্পর্ক। তাদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন। প্রতিমন্ত্রীর ঘাড়ে ভর করে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে নিজ এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। বিপরীতে ডা. এনাম নিজ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2ceb7c4,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার শুভেচ্ছা," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিননন্দন জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিভিন্ন দেশ। অভিনন্দন জানিয়েছেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের দূতরা।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূতরা গতকাল গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ করতে আসেন ওআইসির সদস্য ব্রুনাই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, মরক্কো ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতরাও। তারা নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র,ব্রুনাই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অভিনন্দন বার্তা শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেন। এরপর তারা পারস্পরিক স্বার্থ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বন্ধুপ্রতীম এসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের ধন্যবাদ জানান।কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। গতকাল প্যাট্রিসিয়া তার এক্স হ্যান্ডলে এ অভিনন্দন জানান। প্যাট্রিসিয়া লিখেছেন, জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণ এবং আমাদের কমনওয়েলথ পরিবারের সদস্যদের জন্য কমনওয়েলথ আপনার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2ced5c14,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সিদ্ধান্ত বদল জাপার এমপিদের আজই শপথ," কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সিদ্ধান্ত বদলাল জাতীয় পার্টি (জাপা)। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো- দলটির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ বুধবারই শপথ নেবেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটি জানিয়েছিল, তারা বুধবার শপথ নিতে যাবেন না।সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ শপথ নেবেন। এ জন্য সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সব সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।গতকাল দুপুরে জাপার একটি সূত্র জানিয়েছিল, দলটির পক্ষ থেকে স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে বুধবার শপথ নিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানানো হবে।দলটির দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে দুই-একদিনের মধ্যে দলীয় বৈঠক করে শপথ নেওয়ার দিন-তারিখ ঠিক করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় জাপা নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শপথ নেওয়ার বিষয়টি জানায়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পায় জাতীয় পার্টি। এসব আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয় তারা।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cee7813,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, মনজুরকে হারানোই বড় চমক বাচ্চুর," জনপ্রিয়তার উত্তুঙ্গতাকে কাজে লাগিয়ে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামে তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের সেই প্রভাবশালী নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীকে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র হয়েছিলেন মোহাম্মদ মনজুর আলম। এবারের নির্বাচনে মনজুর আলম চট্টগ্রাম-১০ আসনে হারলেন আরেক মহিউদ্দিনের কাছে, যিনি স্বয়ং এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী।নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট। আর ফুলকপি মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১৯ হাজার ৪৮৯। মনজুর আলম পরাজিত হওয়ার খবরে চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভেতরে-বাইরে আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্লোগান দেন। তাদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, এই ফলাফলের জন্য তারা ১৪ বছর অপেক্ষা করেছেন। মনজুর আলম রাজনীতিতে দীর্ঘসময় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শিষ্য ছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে তিনিই মেয়র নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে দেন। সেই হারের প্রতিশোধ এবার মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু নিলেন। এজন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের আনন্দ অন্যদের চেয়ে আলাদা।এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম-১০ আসনে জয়ী নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু আমাদের সময়কে বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠার রাজনীতি ও সংগ্রাম করেছি। জনগণ আমাদের গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনের ফলাফলে তা প্রমাণিত হলো।বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, নির্বাচনে একজন জিতবেন, অন্যজন হারবেন- সেটাই বাস্তবতা। আমরা সহনশীল রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।মহিউদ্দিন বাচ্চু চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহিউদ্দিন বাচ্চু। গত বছরের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ওই উপনির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জয়ী হয়েছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cef2511 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি : আইনমন্ত্রী," আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে। তবে স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ অভিমত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে, সে ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই(বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’এমপিদের শপথ ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা (পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা) হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে, তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন, তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’স্বতন্ত্রদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তারা বিরোধী দলে গেলে সরকার ও বিরোধী- দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগার, এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইনের কথা, বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখনই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf41a15 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,হবিগঞ্জের তিন আসনে তিনজনই নতুন মুখ ,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের চারটি আসনের তিনটিতে এক প্রতিমন্ত্রী, এক এমপি ও এক হেভিওয়েট নেতাকে হারিয়ে এবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিন তরুণ। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তারা ঘুরেফিরে আসছেন ভোটের আলোচনায়। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার মূল পরিচয় ফেসবুক সেলিব্রেটি হিসেবে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন সুমন রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বেন, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে নিজেকে তিনি সক্রিয় রেখেছেন। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী একজন প্রতিমন্ত্রীকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫শ ৪৩ ভোট।ব্যারিস্টার সুমন আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে তার নাম নেই। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। দীর্ঘদিন উন্নয়নবঞ্চিত এলাকাবাসী এবার নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে তাকে বেছে নিয়েছে।আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীও জেলা আওয়ামী লীগ কিংবা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত মানিক চৌধুরী ওরফে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী। কেয়া চৌধুরী ২০০৭ সালে চেতনা ৭১ নামে একটি সংগঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। হবিগঞ্জের বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখেন। তাদের আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নেও কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মানিক চৌধুরী সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। কেয়ার নানা সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মকা-ে খুশি হয়ে ২০১৪ সালে তাকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত এমপি নির্বাচন করা হয়। এই পদে আসার পরও তিনি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান কেয়া চৌধুরী। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোহম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ ভোট। কেয়া এ আসনে এবার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নতুন মুখ।এদিকে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি শরীফ উদ্দিনের পুত্র ময়েজ উদ্দিন শরীফ। পিতার সুনামকে কাজে লাগিয়ে তিনি এবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ময়েজও একজন তরুণ ও নতুন মুখ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf14516 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,থানা ঘেরাও করে সমর্থকদের ছাড়িয়ে নিলেন লতিফ সিদ্দিকী , টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কালিহাতী থানার সামনে অবরোধ করেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা। আড়াই ঘণ্টা পর লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করেন। গতকাল বেলা ১টায় লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা ওই মহাসড়কে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। ফলে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে কাদের সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে যান। তিনি লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে থানায় প্রবেশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ আটক ছয়জনের মধ্য থেকে এজাহারে নাম না থাকা চারজনকে ছেড়ে দেয়। তবে এজাহারভুক্ত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়।পরে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লতিফ সিদ্দিকী ও তার অনুসারীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হিসেবে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক লতিফ সিদ্দিকী।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf20e18 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,বেআইনি ভোট গণনাসহ নানা অভিযোগ শম্ভুর ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের ১৮টি কেন্দ্রে বেআইনিভাবে ভোট গণনা, ফলাফল বিবরণী প্রস্তুত ও একত্রীকরণ প্রক্রিয়া এবং এজেন্টদের স্বাক্ষরবিহীন রেজাল্ট শিট প্রদানসহ নানা অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। গতকাল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি।অভিযোগ দাখিলের সময় শম্ভুর সঙ্গে ছিলেন বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ ডজনখানেক জেলা আওয়ামী লীগের নেতা।নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন মামুন বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ফলাফল শিটে নৌকার এজেন্টদের স্বাক্ষর নেই। এজেন্টদের জোর আপত্তি উপেক্ষা করে আইনসঙ্গতভাবে প্রস্তুত না করায় ফলাফলে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।এ আসনে এবার প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পাঁচবারের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু (ঈগল), আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান (ট্রাক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান (কাঁচি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf16319 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় শ্যামনগরে আহত ১৩ ," সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে রাজবাড়ীতে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সারকারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আমাদের প্রতিনিধিরা আরও জানান-শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন আহত ও বসতঘর ভাঙচুর হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ১৩ জন আহত ও ৩-৪টি বসতঘর ভাঙচুর হয়েছে।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন নির্বাচিত হলে সোমবার সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে উপস্থিত হলে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ‘ভোট দিস নাই, এখন আসছিস কেন?’ প্রতিবাদ করতে গেলে তার ওপর হামলা করে বলে জানান মিজান। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি মিজানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এদিকে মিজানকে মারধরের ঘটনায় তার কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।রাজবাড়ী : আসিফুর রহমান আলমগীর (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বারবাকপুর গ্রামের সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে। আসিফুর নৌকা প্রার্থীর ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।আসিফুর রহমান আলমগীর বলেন, সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে এরশাদ নামে একজনের সঙ্গে তার বাগ্বিত-া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বারবাকপুর বাজারে সোহাগ, রিপন, এরশাদ, সাজিদসহ একদল যুবক মোটরসাইকেলে তার কাছে এসে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলে দেয় ও পিঠের নিচের দিকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : নৌকার পক্ষে কাজ করায় যমুনা সারকারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগ সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে মারধর করেছে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। গতকাল সকালে রূপালী ব্যাংক মোড় বিজয় ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মোয়াজ্জেম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থক।মাদারীপুর : মাদারীপুর-৩ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তাহমিনা বেগমের সমর্থকদের বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তাহমিনা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি, কর্মী হত্যা, হামলা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। তা নির্বাচনের দিন ও ফলাফল ঘোষণার পরও চালিয়ে যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে।খুলনা : নির্বাচনপরবর্তী ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগ করেছেন খুলনা ৪ ও ৫ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন এবং খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এ অভিযোগ করেন। এর জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দায়ী করেছেন তারা।টাঙ্গাইল : নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকা প্রতীকের কর্মীদের মারধর, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই তার সমর্থকরা গোটা ঘাটাইলে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ট্রাক)। মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, নৌকার প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুলের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।এমপিকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত ইউপি চেয়ারম্যানএদিকে আমাদের রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের পুনঃনির্বাচিত এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে পিটুনি খেয়েছেন মাসুদুল গনি নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সোমবার রাতে এমপির মালিকানাধীন মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকার থিম ওমর প্লাজার নিচতলায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নিজের ও পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন গোদাগাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল গনি। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5c256,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রার দিন," ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’ পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি ছুঁয়েশিশুর মতো আবেগাপ্লুত হয়ে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে ময়দানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ফিরে সে দিন এই অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন।আজ সেই ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি সদ্য স্বাধীন প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে দীর্ঘ ৯ মাস পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে ৮ জানুয়ারি তিনি মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন। দ্বিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটকে রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধ করার পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে, ক্যালেন্ডারে হিসাবে তখন ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। সকাল ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দীন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।১০ তারিখ সকালে বঙ্গবন্ধু নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীসহ দেশটির জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।সশ্রদ্ধ চিত্তে এ সময় জাতির জনক সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘একটা কথা- আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। তিনি বলেন, আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয় উদযাপন করা হবে বলে দল থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5b9a5 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শহরের চেয়ে গ্রামে ভোট বেশি পড়েছে," ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ২৯৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব আসনে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন। তাদের মধ্যে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটাধিকার প্রয়োগের গড় হার ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে- শহরের তুলনায় গ্রামে ভোট পড়েছে বেশি।উদাহরণস্বরূপ, বরিশাল-৫নং (সদর) আসনে ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ২ শতাংশ। একই জেলার ১নং (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে ভোট পড়েছে ৬০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সাতক্ষীরা ২নং (সদরে) আসনে ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ৬১ শতাংশ। একই জেলার ৩ নম্বর আসনে ভোট পড়েছে ৪৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কুমিল্লা-৬ নং (সদর) আসনে ভোট পড়েছে ৩৯ শতাংশ। একই জেলার ১১নং আসনে ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ-১নং (সদর) আসনে ভোট পড়েছে ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ। একই জেলার ৪নং আসনে ভোট পড়েছে ৫৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সিলেট ১নং (সদর) আসনে ভোট পড়েছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই জেলার ৪নং আসনে ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। রাজশাহী ২নং (সদর) আসনে ভোট পড়েছে ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একই জেলার ৪নং আসনে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নজির হচ্ছে- ঢাকার ২০টি আসনে ভোট পড়েছে ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গোপালগঞ্জের ৩টি আসনে ভোট পড়েছে গড়ে ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ।এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে আগের দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) যোগ হওয়ায় টানা তিন দিনের ছুটিতে অনেকেই গ্রামের উদ্দেশে শহর ছেড়েছিলেন। এ কারণে শহরে ভোট কম পড়েছে। দ্বিতীয়ত, শহরে বসবাসকারীদের একটি বিরাট অংশই ভাড়াটিয়া। তাদের মধ্যে যারা বাসা বদল করে অন্য এলাকায় চলে যান, তারা পুরনো ঠিকানার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।উপরন্তু, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের কর্মসূচি ছিল শহরকেন্দ্রিক। এটিও শহরে কম ভোট পড়ার পরোক্ষ কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।প্রসঙ্গত, নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে আগেই ভোট স্থগিত করা হয়। ময়মনসিংহ-৩ আসনে একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় পুরো আসনের ফলই স্থগিত করা হয়েছে।বিভাগীয় শহরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার ১৬ আসনে ভোট পড়েছে ৩৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। রংপুর জেলার ৬টি আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। খুলনা জেলার ৬টি আসনে ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বরিশাল জেলার ৬ আসনে ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ। ময়মনসিংহ জেলায় ১১ আসনের মধ্যে ১০ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া সিলেট জেলার ৬ আসনে ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং রাজশাহী জেলায় ৬ আসনে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। এছাড়া পার্বত্য এলাকার ২১টি ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।ভোটের দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯টি। সেদিনই বেলা সাড়ে ৩টায় ইসি সচিব জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। হিসাব অনুযায়ী, তখন ভোট পড়ে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫ হাজার ৫৭৮টি। ভোটানুষ্ঠান শেষে ইসি জানায়, মোট ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ। ভোটের হিসাবে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি। দেখা যায়, শেষ ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৮ জন ভোটার শেষ ঘণ্টায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।শেষ ঘণ্টায় ভোটের এ উচ্চহারের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, বিকাল ৩টা নয়, সেটা ছিল ২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য। ইসি সচিব তিনটার রেজাল্ট জানিয়েছেন, এমন দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ৯৮ সংসদীয় আসনের একজন, দুইজন, তিনজন, চারজন এভাবে সবার ভোট যোগ করে এক্সেলে ফেলে দিয়ে পার্সেন্টেজটা নিজেরাই দেখে নিন।তিনি আরও বলেন, যখন আমি ২টার সময়ে বলি তখন কোনোভাবেই এটা পুরোপুরি সঠিক হওয়ার কথা নয়। যখন চারটার সময়ে বলি এটা কোনোভাবেই সঠিক হওয়ার কথা নয়। সব চলে আসার পর যখন রাত ১০টায় বলি, তখন সঠিকটা বলা যাবে।জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৯৬৯ প্রার্থীর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রদত্ত যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তার আট ভাগের এক ভাগ ভোটের চেয়ে কম ভোট পেলে সেই প্রার্থী জামানত হারান।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5b193 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছি," নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি। ২৮ অক্টোবর সরকারের সেই (মহাসমাবেশ) বর্বর আক্রমণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা যে ধারায় আন্দোলন করছি, তাতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, আমরা লাগাতারভাবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। একটি কমন দাবি নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। সেটিকে পারলে আরও সম্প্রসারিত করব।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, ভারত, রাশিয়া ও চীন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, বাংলাদেশে জিও পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তাদের যে সমর্থন, সেই বিবেচনায় তাদের এই প্রতিক্রিয়া যুক্ত হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম, ভারত ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হবে না। এ দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা, তাদের অধিকার এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তার পক্ষে ভারতসহ আমাদের যে আন্তর্জাতিক শরিক তারা অবস্থান গ্রহণ করবে। দুঃখজনক হলো সেই অবস্থান তারা গ্রহণ করতে পারেনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a59912 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নিষেধাজ্ঞা আসার কোনো কারণ নেই," নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এ জন্য অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করাসহ রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো অন্যায় করেনি। ফলে বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণও নেই। সে রকম কেউ কিছু করলে সেটি হবে জোর করে করা। কেউ জোর করে করলে করতেই পারে। বাংলাদেশও সে রকম করতে পারে।অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার অনেক এলাকা আছে, যা এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ বছর সবসময় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার রাখব। দেশের বার্ষিক বৈদেশিক ঋণ বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সমান নয়। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত অনেক ভালো আছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আগামীতে দেখা হবে। খেলাপি ঋণ এখন কম। মূল্যস্ফীতি না হলে অর্থনীতি এগোবে না। যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮-১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিল। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a632812 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হলেন আজিজ ," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ (২৮) ৩শ আসনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। নৌকার হ্যাভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে শাহিন চাকলাদার ২০১৭ সালে উপনির্বাচনে এমপি হন। এরপর তার হুমকিতে আড়াই বছর কেশবপুর ছেড়ে থাকতে বাধ্য হন আজিজ। এবার শাহিনের হুমকি-ধমকিকে উপেক্ষা করে নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত খন্দকার রফিকুজ্জামান ও ফরিদা বেগমের ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে আজিজ ছোট ছেলে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। আজিজ বলেন, আমি সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5f0c10 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে চিন্তা নেই ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সবার উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে চিন্তা করছে না সরকার।বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানটা হচ্ছে জাস্ট মিটিংয়ে বসা। অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে- এটা আপনারা (সাংবাদিকরা) ভালো জানেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুশি যে, একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতহীন নির্বাচন করেছি। জনগণ রায় দিয়েছে, দ্যাটস এনাফ। আমাদের আর কিছু দরকার নেই।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলেছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন... এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই মোমেন বলেন, ওগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই, আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ আমাদের সপক্ষেই এসেছে। সবাই বলেছে, দেশে ফ্রি, ফেয়ার, ট্রান্সপারেন্ট ও নন ভায়োলেন্ট ইলেকশন হয়েছে। ইলেকশন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদও দিয়েছে। দ্যাটস ইট, অ্যান্ড উই আর ভেরি হ্যাপি উইথ ইট।উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি, সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।এদিকে, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানের ফাঁকে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন এ তিন রাষ্ট্রদূত।জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা খুশি। বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে নতুন বছরে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে জার্মানি। বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী দিনের উন্নয়ন সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি। চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন করতে পেরেছে বলে আমরা অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।অন্যদিকে, ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি ইস্যু করা হবে।সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ প্রায় ৫০ দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5dbb8 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেবে চীন," বাংলাদেশের নতুন সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইন অনুযায়ী চীন সমর্থন দেবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বেইজিংয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। গতকাল ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস নিজেদের ওয়েবসাইটে মাওয়ের বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় চীন বাংলাদেশকে এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে চীন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেবে। উন্নত মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে আরও এগিয়ে নিতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5f247 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, মন্ত্রিসভায় থাকবে অনেক নতুন মুখ," নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন আর কারা বাদ পড়ছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেককে ‘নিশ্চিত মন্ত্রী’ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনও জানানো হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পাবেন, সেটা শুধু দলের সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাই জানেন। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা শুধু এতটুকু নিশ্চিত করেছেন যে, নতুন মন্ত্রিসভায় একঝাঁক নতুন মুখ আসতে যাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, এ নিয়েও কোনো সংশয় নেই।সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়কে একাধিকবার ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। অনেকে অনুমান করছেন, নতুন মন্ত্রিসভাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। ইতোমধ্যে সদস্যদের নামও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোনো কোনো এমপিকে ডেকে নিয়ে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার বিষয়ও জানিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।নতুন মন্ত্রিসভার বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার (আজ) নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। সেই হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠান বঙ্গভবনে হয়; এ বছরও তাই হবে।’ নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে ১৩০০ থেকে ১৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে।মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, যিনি সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যেসব নাম ভেসে বেড়াচ্ছে এর মধ্যে রয়েছেন- ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং দলের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের নামও শোনা যাচ্ছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যুতে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে এবং বক্তব্য দিয়ে যারা দলকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছেন, তারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন। সে সংখ্যাটিও একেবারে কম নয় বলে জানা গেছে।গতকাল বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গেজেট প্রকাশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনে ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই নির্বাচনও হবে ১৩ জানুয়ারি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5b193,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছি," নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি। ২৮ অক্টোবর সরকারের সেই (মহাসমাবেশ) বর্বর আক্রমণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা যে ধারায় আন্দোলন করছি, তাতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, আমরা লাগাতারভাবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। একটি কমন দাবি নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। সেটিকে পারলে আরও সম্প্রসারিত করব।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, ভারত, রাশিয়া ও চীন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, বাংলাদেশে জিও পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তাদের যে সমর্থন, সেই বিবেচনায় তাদের এই প্রতিক্রিয়া যুক্ত হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম, ভারত ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হবে না। এ দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা, তাদের অধিকার এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তার পক্ষে ভারতসহ আমাদের যে আন্তর্জাতিক শরিক তারা অবস্থান গ্রহণ করবে। দুঃখজনক হলো সেই অবস্থান তারা গ্রহণ করতে পারেনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf41a15,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, হবিগঞ্জের তিন আসনে তিনজনই নতুন মুখ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের চারটি আসনের তিনটিতে এক প্রতিমন্ত্রী, এক এমপি ও এক হেভিওয়েট নেতাকে হারিয়ে এবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিন তরুণ। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তারা ঘুরেফিরে আসছেন ভোটের আলোচনায়। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার মূল পরিচয় ফেসবুক সেলিব্রেটি হিসেবে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন সুমন রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বেন, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে নিজেকে তিনি সক্রিয় রেখেছেন। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী একজন প্রতিমন্ত্রীকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫শ ৪৩ ভোট।ব্যারিস্টার সুমন আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে তার নাম নেই। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। দীর্ঘদিন উন্নয়নবঞ্চিত এলাকাবাসী এবার নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে তাকে বেছে নিয়েছে।আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীও জেলা আওয়ামী লীগ কিংবা উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত মানিক চৌধুরী ওরফে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী। কেয়া চৌধুরী ২০০৭ সালে চেতনা ৭১ নামে একটি সংগঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। হবিগঞ্জের বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখেন। তাদের আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নেও কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মানিক চৌধুরী সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। কেয়ার নানা সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মকা-ে খুশি হয়ে ২০১৪ সালে তাকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত এমপি নির্বাচন করা হয়। এই পদে আসার পরও তিনি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান কেয়া চৌধুরী। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোহম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ ভোট। কেয়া এ আসনে এবার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নতুন মুখ।এদিকে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি শরীফ উদ্দিনের পুত্র ময়েজ উদ্দিন শরীফ। পিতার সুনামকে কাজে লাগিয়ে তিনি এবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ময়েজও একজন তরুণ ও নতুন মুখ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf15eb02a,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিতে সংসদ ভবনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা," শপথ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও। কিছুক্ষণ পর শপথ নেবেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিরা।আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।শপথ বাক্য পাঠ করাবেন চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এজন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে সংসদ কর্তৃপক্ষ।নিয়মানুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হয়। শপথগ্রহণের পরই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করবেন।গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ২৯৮ আসনের ফলাফলে, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২২ জন, জাতীয় পার্টির ১১ জন, স্বতন্ত্র ৬২ জন, জাসদের ১, কল্যাণ পার্টির ১ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf186f2ad,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আনুষ্ঠানিকভাবে আ. লীগে যোগ দিলেন কবির বিন আনোয়ার," আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ সকালে শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন কবির বিন আনোয়ার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলের প্রাথমিক সদস্য পদের ফরম তার হাতে তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সদ্যঃসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন কবির বিন আনোয়ার। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।কবির বিন আনোয়ার দীর্ঘদিন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।এলপিআর (লিভ প্রিপারেশন ফর রিটায়ারমেন্ট বা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি) এর মেয়াদ শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন তিনি।সিরাজগঞ্জের সন্তান কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি কর্মজীবনে তিনবার জনপ্রশাসন পদক ও দুবার বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তার মা ও বাবা দুজনই মুক্তিযোদ্ধা।কবির বিন আনোয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা, যিনি ২৩তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কবির বিন আনোয়ার সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মাত্র ১৯ দিন দায়িত্ব পালন করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf19a318c,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিলেন আ. লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর–৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিদায়ী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রথমে তিনি নিজেই সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের শপথ নেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। পরে সবাই শপথপত্রে সই করেনএরপর বেলা ১১টায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার।এছাড়া দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টি ও অন্য দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হয়। সে অনুযায়ী, আজ সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।দ্বাদশ সংসদের এমপিরা নিজ নিজ নাম উচ্চরণ করে স্পিকারের সঙ্গে সঙ্গে পড়তে থাকেন- ‘সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি যে কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি, তাহা আইন-অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; এবং সংসদ-সদস্যরূপে আমার কর্তব্য পালনকে ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হইতে দেব না।’এরপর সবাই শপথপত্রে নিজেদের আসনের নাম লিখে সই করেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিব এ কে এম আবদুস সালাম।উল্লেখ্য, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।আর ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।এ দুটি বাদে বাকি ২৯৮টি আসনের নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার।জানা গেছে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ আলোচনা করে তাদের নেতা নির্বাচিত করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতির জন্য স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবে।নিয়মানুযায়ী, সংসদ নেতা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন স্পিকার। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করবেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf19523de,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নিজেই নিজের শপথ নিলেন স্পিকার," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় নিজেই নিজের শপথবাক্য পাঠ করলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি শপথগ্রহণ করেন।সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হয়। সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।তবে এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf15f9535,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটনের শপথ নিলেন ওবায়দুল কাদের," আজকের এই দিনে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়েছে, তা সমূলে উৎপাটন করার শপথ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌‘আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো এবং টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা-পাগল, মুক্তিকামী বাঙালি মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে আমাদের বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। বিজয়ের ঘরে ছিল শূন্যতা। বঙ্গবন্ধু নেই, বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয় যেন অনুপস্থিত। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন এলেন তখনই আমাদের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়।’তিনি আরও বলেন, ৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে আবার উল্টোপথে যাত্রা শুরু হয় দেশের। চিরাচরিত পাকিস্তানি ধারায় বাংলাদেশ ফিরে যায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার আদর্শ লুণ্ঠিত হয়। জয় বাংলা নির্বাসিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর দেশ আবারও পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ধারায় চলে যায়।সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিন আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের দেশে এখন সম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির যে বীজবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, এই সাম্প্রদায়িক বীজবৃক্ষকে উৎপাটন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে সংহত করে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে।’এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf20c9f13 ,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিতে পারবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ, ঢাকা-৪ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে শপথ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ আবেদন করা হয়।এর আগে ঢাকা-৪ আসনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ আসনের ১৮টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন।আসনটির নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf1e944c9,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিলেন নবনির্বাচিত ৬২ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় সংসদ ভবনের নিচতলার শপথকক্ষে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্যের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন।পরে তাদের শপথের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাংসদদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর নবাগত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন।এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন।এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf1ef735f,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন শিল্পীরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন শোবিজের একঝাঁক শিল্পীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যান তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে তাদের।অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে শিল্পীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম আমরা। তিনি আবারও নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আমরা শিল্পীরা আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছি।’চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘টানা চতুর্থবারের জয়ে আমরা শিল্পীরা মিলে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। তাকে সমর্থন দেওয়া ও পাশে থাকার জন্য তিনি আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গণভবনে গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, নায়িকা নিপুণ, আহসান হাবিব নাসিম, রওনক হাসান, অভিনেতা মীর সাব্বির, সাজু খাদেম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তীকর, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি প্রমুখ।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf1cc1276,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ বিকেলে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেল ৫টায় বঙ্গভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।এদিন বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের নিচতলার শপথ কক্ষে নবনির্বাচিত এমপিদের এই শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর পর নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান স্পিকার। ,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf1d7f7e4,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, অষ্টমবার এমপি হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা," অষ্টমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন।আজ বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত হতে যাওয়া সরকারে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf24b4d8d,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আবারও সংসদ নেতা নির্বাচিত শেখ হাসিনা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ বুধবার আওয়ামী লীগের এমপিদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।সংসদ নিতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশে জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয়। এদিকে সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। আর ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করা হয়েছে।এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন তিনি।এ ছাড়া বর্তমান নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf23c5579,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিলেন জাপার ১১ এমপি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) ১১ জন সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন।আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন।পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচিতরা এই শপথ নেন।শেরেবাংলা নগরে সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব এ কে এম আব্দুস সালাম শপথ পরিচালনা করেন। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে নতুন সংসদ সদস্যদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর তারা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন।এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন। এর পর বেলা ১১টায় ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যকে শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।তবে এমপিদের শপথের আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজেই নিজের শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf21ae940,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিতে গিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ফেরদৌস," নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দেব। কোনো কাজ বিঘ্নিত না হয় সে চেষ্টাই করে যাব।'আজ বুধবার সকালে সংসদ ভবনে শপথ নিতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।শপথ গ্রহণের আগে নায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘আমি যেন সততার সঙ্গে দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি বিশেষ করে আমার ঢাকা-১০ আসনের সম্মানিত নাগরিকদের জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি।’তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঢাকা-১০ কে উন্নয়নে দশে দশ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2166bc9,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,"নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ কী, জানালেন হাছান মাহমুদ"," তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দল নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন।’আজ বুধবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটিনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। তিন দিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল, সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।’‘পাশাপাশি এটিও উৎসাহব্যঞ্জক যে, মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, অন্যান্য দেশ এবং বিভিন্ন জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষক যারা এসেছিল, তারা সবাই এ নির্বাচনকে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং নির্বাচনের সময় নানাবিধ গণ্ডগোলের মাত্রা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছে’, যোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তারা তাদের বিবৃতিতে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। জাপান থেকে শুরু করে প্রায় ৩১টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’‘আর যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে’, বলেন হাছান মাহমুদ। দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2a4a8bd,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান জানাল," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান জানায় দেশটি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নোট করেছে। যদিও লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু এটি দুঃখজনক যে এই নির্বাচন এমন এক পরিবেশে হয়েছিল যেখানে সকল অংশীজন অর্থপূর্ণ এবং প্রকৃতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং রাজনৈতিক বিরোধী (দলের) সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের কাছে ধারাবাহিকভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া।অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশ সরকারকে তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য অগ্রাধিকার দিতে জোর দিচ্ছে যেগুলো মানবাধিকারের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রচারের উপর ভিত্তি করে।ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2963d07,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪," এমপি হওয়ার পর প্রথম সংসদে, অনুভূতি জানালেন ব্যারিস্টার সুমন"," হবিগঞ্জ-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‌‘জীবনে প্রথম সংসদ ভবনে ঢুকলাম। এর আগে একদিন অতিথি হিসেবে সংসদে ঢুকেছিলাম। সংসদে ঢুকে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে, সংসদে এত লোকের প্রয়োজন নেই। ৩০০ জন সংসদ সদস্যের জন্য যত মানুষ দেখলাম, তাতে আরও কম হলেও সমস্যা নেই। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, সংসদে এত মানুষের প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, সংসদে আইন তৈরি করতে হবে আর এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হবে। দুই লাখ ভোটারের ভোট দেওয়ার বিনিময়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে একটি আইডি কার্ড পেয়েছি। আজকে আমরা যে শপথ গ্রহণ করলাম সেটা তো জন্মগতভাবেই বলা হয়েছে আমরা যেন ব্যক্তিস্বার্থ না দেখি, এটা আমি আমার মায়ের কাছ থেকেই শিখেছি। যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাদেরকে জনগণ সংসদে পাঠিয়েছে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে আশা করি সেটা পূরণ করতে পারব।’তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে আমি আমার এলাকার জন্য এবং সারা দেশের ফুটবলের জন্য, সারা দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি সংসদে ভূমিকা রাখতে পারব।’হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই এমপি বলেন, ‘আমার ভূমিকা আগের মতোই থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলা এবং নিজের এলাকাকে যতটুকু পারা যায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বাস্তবিক অর্থে রূপ দেওয়া।’এসব কাজে কী চ্যালেঞ্জ থাকবে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এসব কাজে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। একটা দুইটা না। বাংলাদেশে কাজ তো কেউই করতে চায় না। তারপরও যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর থাকে তাহলে আমি অনেকটা পাড়ি দিতে পারব।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf27e483b,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘বাংলাদেশের সেরা নির্বাচনের একটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’," বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচনগুলোর মধ্যে একটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনকালে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সেরা নির্বাচনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ নির্বাচন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষকরাও তা জানিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে। যত ষড়যন্ত্রই আসুক, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন চলমান রয়েছে, শিক্ষা ও গবেষণা ভালোভাবে চলছে। আমি সকলের সহযোগিতা চাই, সবাই মিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আমিও তো এখানে থাকব না, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে, তবে সবকিছুর ধারাবাহিকতা চলবে, উন্নয়ন কর্মকান্ডে যেনো ছেদ না পড়ে। আমাদের কোন ভুল ত্রুটি হলে আপনারা এসে বলবেন, আমরা সংশোধন করে নিব। এখানে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, কেউ কোন সমালোচনার উর্ধ্বে না, সমালোচনা অবশ্যই করবেন, তবে তা গঠনমূলক হতে হবে। মিথ্যার আশ্রয় কেউ নিয়েন না, সত্যি কথা সামনাসামনি এসে বলেন, আমরা তা সংশোধন করে নিব। এখন আমাদের যত উন্নয়ন কর্মকান্ড রয়েছে, তা দৃশ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এবং এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf27af70a,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, রাজনীতি টেস্ট ম্যাচের মতো খেলতে হবে: সাকিব," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।এমপি নির্বাচিত হয়ে এবার শপথ নিতে এসে সাকিব জানান, ব্যাপারটা নতুন, তবে অভ্যাস হয়ে যাবে।আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।শপথ পাঠ করতে এসে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে, তিনি আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন। আর যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের এখন প্রতিদান দেওয়ার সময়। আমি চেষ্টা করবো আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ করার।’এরপর সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাজনীতির মাঠে খেলতে আপনি কেমন বোধ করবেন? জবাবে সাকিব বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচের মতো খেলতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী সময় নিয়ে কাজ করার যদি ‍সুযোগ হয় সেটা ইনশাল্লাহ করবো। দীর্ঘসময়ের ব্যাপার, টেস্ট ম্যাচের মতো মনে করে খেলতে হবে এবং সে জন্য আমি প্রস্তুত আছি।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf263d84f,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বিরোধী দলেই থাকতে চাই: জি এম কাদের," বিরোধী দলে ছিলেন এবং বিরোধী দলেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর সদর-৩ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে শপথগ্রহণের পর তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, সংসদে আসার অনুভূতি সব সময়ই ভালো। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে আবার সংসদে এলাম, সেটি আনন্দের বিষয়।দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না নিয়মটা কী। তবে আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী, যেটা জনগণের ভালো হয় সেটিই আমরা করতে চাই।’পার্টি অফিসে নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের পার্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অথবা ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’এবারের সংসদ নির্বাচনে এত কম আসনে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব সময় সবকিছু এক রকম হয় না। এবারের নির্বাচনটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও বুথ দখল করা হয়েছে। নির্বাচন দিয়ে সত্যিকার অর্থে আমাদের জনপ্রিয়তা বা জনগণের সঙ্গে আমাদের যে ভিত্তি সেটি সঠিকভাবে আসেনি।’",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf14516,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, থানা ঘেরাও করে সমর্থকদের ছাড়িয়ে নিলেন লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কালিহাতী থানার সামনে অবরোধ করেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা। আড়াই ঘণ্টা পর লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করেন। গতকাল বেলা ১টায় লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা ওই মহাসড়কে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। ফলে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে কাদের সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে যান। তিনি লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে থানায় প্রবেশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ আটক ছয়জনের মধ্য থেকে এজাহারে নাম না থাকা চারজনকে ছেড়ে দেয়। তবে এজাহারভুক্ত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়।পরে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লতিফ সিদ্দিকী ও তার অনুসারীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হিসেবে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক লতিফ সিদ্দিকী।,Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2ca6547,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা," জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ বুধবার জনসভা করছে আওয়ামী লীগ। এতে যোগ দিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসছেন দলের নেতাকর্মীরা। জনসভায় সভাপতির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ দুপুর থেকে বিভিন্ন গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায়। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতারাও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নিয়ে আসছেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন। দিনটিকে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5add4,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বিরোধীরা বড় খেলা খেলতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে," বিরোধীদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তারা বড় খেলা খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আর ব্যর্থ যারা হয়, তাদের মধ্যে প্রতিহিংসা জাগ্রত হয়। আপনারা কোথাও যদি এতটুকু গোলমাল করেন, তা হলে ওই সুযোগটা চক্রান্তকারীরা নেওয়ার চেষ্টা করবে।’গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্বে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর পর যেন কোথাও কোনো রকম, কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব, কোনো কিছু না হয়। যারা জয়ী হয়েছে, সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, সেটা অন্য দল বা স্বতন্ত্র, সবাই মিলে এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা মনে রাখতে হবে- পেছনে কিন্তু শত্রু লেগে আছে। মানুষ পোড়ানো থেকে শুরু করে এমন কোনো জঘন্য কাজ নেই, তারা করে না। কাজেই শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সাধারণ মানুষ যে মেন্ডেট দিয়েছে, তা মেনে নিয়ে আগামীর প্রস্তুতি নিতে হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেককে নমিনেশন দিয়েছিলাম। আশা করেছিলাম তারা জয়ী হবে, কিন্তু জয়ীহতে পারেননি। জনগণ যেহেতু ভোট দিয়েছে, সেহেতু কোনো ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ যেন না থাকে। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থাটা ধরে রাখতে হবে। কোনো প্রকার সংঘাত দেখতে চাই না, যা কিছু হয়েছে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত। জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস রাখতে হবে। ভোট না দিলেও তার কাছে যেতে হবে, বলতে হবে এবং তাদের জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে; এই কথাটি মনে রাখতে হবে।’বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওদের হাত থেকে কিন্তু কেউ রেহাই পায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিদের কোয়ার্টার আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো সব সময় তাদের শিকার।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ওরা চক্রান্ত করছিল, এই নির্বাচন কিছুতেই হতে দেবে না। আমরা কিন্তু বিকল্প পথ নিয়েছিলাম। আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর বলতে পারবে না যে রাতে সিল মেরেছে। কারণ ব্যালট পেপার কেন্দ্রে গেছে সকালে। যে কথাটা তারা সারা দিন বলে বেড়াত, সেই কথাটা বলার আর সুযোগ নেই।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটের অধিকার জনগণের হাতে তুলে দিতে পেরেছি, সেটিই আমাদের সবচেয়ে আনন্দের। আগে ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ছিল না, বন্দি ছিল ক্যান্টনমেন্টে।’শীতের সকাল অপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিপুলসংখ্যক ভোটের উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশেষ করে নারী যারা তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই যে, এবারে নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা যে নারীর ক্ষমতায়নে অনেক কিছু করেছি, এটিই তার প্রমাণ।’দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। নিজেদের পায়ে নিজেদের দাঁড়াতে হবে। নিজেদের উৎপাদন নিজেরা করতে হবে। অনেকেরই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে যে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে, অমুক করবে, তমুক করবে। সেটি যাতে কোনোভাবে করতে না পারে, সে জন্য আমাদের এখন থেকেই সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো মাস্টার নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের মাস্টার। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের শক্তি। আর বাংলাদেশের জনগণ আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস। এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে, নির্বাচন হতে দেবে না। মুরব্বিদের (বিদেশি) পরামর্শে চললে বাংলাদেশের আর চলা লাগবে না। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটি ভালো কথা।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা নির্বাচন হতে দেবে না, তাদের কিছু মুরব্বি আছে, বাংলাদেশের মানুষকে তারা চেনে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- বাংলাদেশের মানুষকে দাবায় রাখতে পারবে না, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মানুষ সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কোনো প্রভু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের শক্তি।’শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এ নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’নির্বাচনে জয় পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা তাকে বুকে নিয়ে কপালে চুম্বন দেন। এ সময় নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।অনুষ্ঠানের শেষ দিকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা একসঙ্গে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগান ধরেন। তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীরাও সেøাগানে তোলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5b021,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, জাতিসংঘের বিবৃতি একপেশে," তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারাদেশের মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করেছে। বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ভারতসহ সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন- নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতিকে একপেশে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিবৃতি তখনই গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচনকে প্রতিহত করতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা জানানো হতো।‘নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক’- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেখেছি- চীন ও রাশিয়া যা বলে, যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন ও রাশিয়া একযোগে বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারা যদি না বলত, তা হলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিটা অন্যরকম হতো। ভোটের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিন দিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই গ্রামে চলে গেছে। তাই শহরাঞ্চলে ভোটের হার কম ছিল।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a632812,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হলেন আজিজ," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ (২৮) ৩শ আসনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। নৌকার হ্যাভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে শাহিন চাকলাদার ২০১৭ সালে উপনির্বাচনে এমপি হন। এরপর তার হুমকিতে আড়াই বছর কেশবপুর ছেড়ে থাকতে বাধ্য হন আজিজ। এবার শাহিনের হুমকি-ধমকিকে উপেক্ষা করে নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।কেশবপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত খন্দকার রফিকুজ্জামান ও ফরিদা বেগমের ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে আজিজ ছোট ছেলে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। আজিজ বলেন, আমি সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a5f0c10,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে চিন্তা নেই," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সবার উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে চিন্তা করছে না সরকার।বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানটা হচ্ছে জাস্ট মিটিংয়ে বসা। অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে- এটা আপনারা (সাংবাদিকরা) ভালো জানেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুশি যে, একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতহীন নির্বাচন করেছি। জনগণ রায় দিয়েছে, দ্যাটস এনাফ। আমাদের আর কিছু দরকার নেই।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলেছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন... এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই মোমেন বলেন, ওগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই, আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ আমাদের সপক্ষেই এসেছে। সবাই বলেছে, দেশে ফ্রি, ফেয়ার, ট্রান্সপারেন্ট ও নন ভায়োলেন্ট ইলেকশন হয়েছে। ইলেকশন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদও দিয়েছে। দ্যাটস ইট, অ্যান্ড উই আর ভেরি হ্যাপি উইথ ইট।উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি, সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।এদিকে, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানের ফাঁকে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন এ তিন রাষ্ট্রদূত।জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা খুশি। বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে নতুন বছরে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে জার্মানি। বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী দিনের উন্নয়ন সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি। চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন করতে পেরেছে বলে আমরা অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।অন্যদিকে, ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি ইস্যু করা হবে।সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ প্রায় ৫০ দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2ea20bb,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে নিজের বিজয়কে ‘বিস্ময়কর’ বললেন মেনন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শুধুমাত্র জিতেছেন দলীয় সভাপতি সভাপতি রাশেদ খান মেনন। নিজেকে ‘হারাধনের একটি ছেলে’ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের বিজয়কে বিস্ময়কর বলছেন এ বাম নেতা।আজ বুধবার বিজয়ী সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।নিজেকে ‘হারাধনের একটি ছেলে’ সম্বোধন করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘হারাধনের একটি ছেলে। টেকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংগ্রাম করে টিকে থাকাটা বড় ব্যাপার! বিশেষ করে আমরা যারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশি-চলি, যাদের অর্থবিত্ত নেই, তাদের এ ধরনের নির্বাচনে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ।’ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমার বিজয়টা এবার বিস্ময়কর লেগেছে! কারণ আমি ৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন করে এবারই সর্ববৃহৎ ব্যবধানে জিতেছি। প্রায় ৯০ হাজার ভোটে আমি জিতেছি। ভোটে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা আমার ভালো লেগেছে।’ঢাকা-৮ আসন ছেড়ে নিজের এলাকায় অর্থাৎ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মেনন বলেন, ‘এই আসনে ১৯৯১ সালেও আমি এমপি ছিলাম। সেখানে পিছিয়ে থাকা লোকজন রয়েছে। তার পরও আমি মনে করেছি যে, মানুষ আমাকে পুরোনোভাবেই গ্রহণ করেছে আর সেভাবেই তারা আমাকে দেখতে চায়।’বরিশাল-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫টি ভোট পান মনেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2febafa,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বীর প্রতীক হীরুকে মন্ত্রী হিসেবে পেতে চান নরসিংদীবাসী," সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও টানা চারবারের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীককে এবার মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান নরসিংদীবাসী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে দেন নজরুল ইসলামকে। তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় গত পাঁচ বছরে নরসিংদী সদরসহ জেলাব্যাপী, এমনকি দেশব্যাপী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাপক কাজ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করেছেন বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।নেতাকর্মীরা জানান, নজরুল ইসলাম শহীদ পরিবারের সন্তান। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে সরকার। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে রয়েছে মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নাম। এ জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদল সরকার বলেন, চরাঞ্চলে প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়ে মেঘনা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতু স্থাপন করা হয়েছে। এটা শুধু পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কারণেই হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরসিংদীবাসীর দাবি- এবার হিরু ভাইকে পূর্ণমন্ত্রী করুন। নরসিংদী বাসি অনেক উপকৃত হবেন। সেই সাথে নরসিংদী সহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবেন তিনি।এছাড়া নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বসাধারণ মানুষ সৎ এবং গ্রহণযোগ্য হীরুকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2fe534e,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে যে আহ্বান জানালেন মার্কিন সিনেটররা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন সিনেটের হুইপ ডিক ডারবিন, সিনেটর জেফ মার্কলি, টিম কেইন ও পিটার ওয়াচ। গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।আজ বুধবার নিজের অফিসিয়াল এক্স একাউন্টে এক পোস্টে এই বিবৃতি শেয়ার করেন সিনেটর ডিক ডারবিন।বিবৃতিতে সিনেটররা বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অপব্যবহার রোধ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সব দলকে সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কার্যকর সংলাপের আহ্বান জানাই।’গত ৭ জানুয়ারির ভোট নিয়ে সিনেটররা আরও বলেন, ‘এদিন শান্তিপূর্ণভাবে কোটি কোটি বাংলাদেশি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু এই নির্বাচন ও নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলের সহিংসতা শিকার হয়। মূল বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়াও হতাশাজনক। নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদলীয় নেতা ও সুশীল সমাজের কর্মীরা হয়রানি ও গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন।’ সহিংসতাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সিনেটররা বলেন, ‘নির্বাচনের পর বাকস্বাধীনতা ও সুশীল সমাজের অধিকার চর্চাকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2f95be0,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের পর প্রথম জনসভায় শেখ হাসিনা," জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর এটিই তার প্রথম জনসভা।আজ দুপুর থেকে বিভিন্ন গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায়। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতারাও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নিয়ে এসেছেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন। দিনটিকে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৮টি আসনের ঘোষিত ফলে দেখা গেছে ২২২টি আসন পেয়েছে দলটি। সংসদ সদস্য হিসেবে আজ আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দলীয় ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিতরা শপথগ্রহণ করেছেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2f7d6cc,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূনকে আবারও মন্ত্রিসভায় দেখতে চায় নরসিংদীবাসী," পঞ্চমবারের মত নরসিংদী ৪ (মনোহদী-বেলাব) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সফল শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিদান দিয়েছে নরসিংদী-৪ মনোহরদী-বেলাবো আসনের ভোটাররা। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নারী পুরুষ-বৃদ্ধ বনিতা সকলেই একযোগে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে বিজয়ী করেছেন।এরপর থেকেই বর্ণাঢ্য রাজনীতি জীবনের অধিকারী দুঃসময়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সফল শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূনকে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে আবারও মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার দাবি উঠেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন ও মেগা প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে সম্পাদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে নাম থাকায় সম্ভাব্য মন্ত্রীসভার তালিকায় আলোচিত হচ্ছে বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদের নাম।আজীবন এলাকার মানুষদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাওয়া আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া প্রবীণ এই নেতা ১৯৮৬ সালে প্রথম নরসিংদী-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। পরে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার পর ২০০৮ সাল থেকে টানা ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরপর ৪ বার এই আসনের ভোটাররা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে নির্বাচিত করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন।দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে স্প্রিন্টারের গুলি শরীরে বহন করে জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি হুমযূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। ৫ বছরে তিনি সফলভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। কৃষকদের কল্যাণে এই মন্ত্রণালয়ে থেকে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ পলাশ ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানা নির্মাণ করেছেন। নরসিংদীতে সম্প্রসারিত বিসিক শিল্পনগরী উদ্বোধন, পুরাতন ঢাকার ঝুকিঁপূর্ণ ক্যামিকেল গোডাউন সরিয়ে ঢাকার বাইরে নেওয়া, মুন্সিগঞ্জে বিসিক ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্টিয়াল পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন, গজারিয়াতে ঔষধ শিল্পের বিকাশে ইপিআই পার্ক স্থাপন, ১০ জেলায় বিএসটিআই অফিস স্থাপন ও ২৬ জেলায় অফিসের কাজ চলমান, সার বিতরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাফার গোডাউন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। গত ১৫ বছরে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেন, শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নরসিংদী জেলা আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক। তাঁর নেতৃত্বে আমরা জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে নৌকার বিজয় পেয়েছি। এলাকায় উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন বিধায় জনগণ বিপুল ভোটে তাঁকে পুণরায় বিজয়ী করেছেন। বর্তমান সরকারের ন্যায় দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রীসভায়ও নরসিংদী জেলায় মন্ত্রিত্ব থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের বাংলাদেশকে আমি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই। আমার বিশ্বাস, আমি সফলতার সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি। এবং বাকি যে কাজটুকু রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করতে এবং নরসিংদীবাসীর যে কাজগুলো বাকি আছে সেগুলো করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার পাশে রাখবেন।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf3202a34,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সংসদে এসে ‘প্রথমবার পিতা হওয়ার’ অনুভূতি পাচ্ছেন সৈয়দ ইবরাহিম," প্রথমবারের মতো এমপি হয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো এমপি হলে ভালোই লাগে, প্রথমবার পিতা হওয়ার মতো।আজ বুধবার নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে জাতীয় সংসদে গিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, এত সংক্ষেপে তাড়াহুড়ো করে বলার প্রয়োজন নেই। পরে বলবো ইনশাআল্লাহ।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৮৬ ভোট।",Positive https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf30cd4fa,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট সদস্য ও হাউস অব ফরেন কমিটির র্যাংকিং গ্রেগরি মিকস।আজ বুধবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বিবৃতি শেয়ার করে তিনি এই আহ্বান জানান।গ্রেগরি মিকস বলেন, ‘সহিংসতার জন্য দায়ী ও ভোটের পরিবেশ বিনষ্টকারীদের শাস্তির আওতায় আনার যে আহ্বান পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আমি তা সমর্থন করি।’ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট সদস্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cf856c855,আমাদের সময়,১২ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন মন্ত্রীকে তলব করল নির্বাচন কমিশন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ও নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া ফরিদুল হক খানকে প্রকাশ্যে ভোট প্রদানের অভিযোগে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলমের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে তলব করা হয়।ইসির নোটিশে ফরিদুল হক খানকে বলা হয়েছে, ‘৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন আপনি জামালপুর-২ আসনের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ।’এতে বলা হয়, ‘উল্লিখিত অপরাধ সংঘটনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী সোমবার বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে (নির্বাচন ভবন, কক্ষ নম্বর-৩১৪) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।’নোটিশে আরও বলা হয়, ‘বর্ণিতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উল্লিখিত তারিখে যথাসময় বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cfdb564a5,আমাদের সময়,১২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের পর কাল প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী," টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আগামীকাল শনিবার প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি রবিবার ঢাকায় ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর দৈনিক কর্মসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দুই দিনের সফরের প্রথম দিন শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। বেলা ১২টা নাগাদ টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে তিনি তার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাত করবেন।নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন।সফরের দ্বিতীয় দিন রবিবার দুপুর ২টায় কোটালীপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর আড়াইটায় তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাঘরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রীর শপথবাক্য পাঠ করান। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d0787e576,আমাদের সময়,১৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের প্রথম যৌথসভা সোমবার," আগামী সোমবার আওয়ামী লীগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ শনিবার আওয়ামী লীড়ের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এই যৌথসভায় অংশ গ্রহণ করবেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই আওয়ামী লীগের প্রথম যৌথসভা হবে। নির্বাচনে সংখ্যাঘরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d0403e66d1,আমাদের সময়,১৪ জানুয়ারি ২০২৪," নিজের নয়, নির্বাচন করেছি সাধারণ মানুষের কথা বলতে"," জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। অভিনয় করে পেয়েছেন চারবার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার। প্রথমবার প্রার্থী হয়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে হয়েছেন জয়ী। এখন তিনি চিত্রনায়ক থেকে জননায়ক। বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়সাল আহমেদচিত্রনায়ক থেকে জননায়ক হলেন। অনুভূতিটা নিশ্চয়ই একমদই আলাদা?নির্বাচনে যখন প্রার্থী হওয়ার ফরম পূরণ করলাম তখন অনুভূতিটা ছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মতো। যখন প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হলো তখন মনে পড়ছে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরের অনুভূতির কথা। আসলে জীবনের অনুভূতিগুলো ফিরে ফিরে আসে। একটার সঙ্গে অন্যটার যোগসূত্র থাকে ঠিকই কিন্তু অনুভূতিটা উদযাপন হয় আলাদাভাবে।যেমন সিনেমার সঙ্গে বাস্তবতার একটা যোগসূত্র থাকলেও এদের কখনো এক করা যায় না, এমন কিছু?হুম। সে রকমই কিছু। মানুষ আমাকে চেনেন একজন নায়ক হিসেবে। আমার অভিনয় তাদের ভালো লেগেছে বলেই তারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতাটা আরও অনেক আবেগপ্রবণ ছিল।কী রকম?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, আমার বিশ্বাস ছিল এ দেশের মানুষও আমার প্রতি আস্থা রাখবেন। কিন্তু সাধরাণ মানুষ যে আমাকে এতটা ভালোবাসেন, এটা তাদের সঙ্গে দেখা না হলে বুঝতাম না। দেখলাম তারা আমার সব খবর রাখেন। একেকজন আমাকে কথা দিয়েছেন যে তারা ভোট দিতে যাবেন। হুইলচেয়ারে করে বেশ কয়েকজন ভোট দিতে গেছেন। দেখে আমার চোখে পানি চলে এসেছে। আমি একজনকে বলেছিলাম, আপনি চলে যান। তিনি বলেছেন, ‘না, আমি জীবনের শেষ ভোটটা তোমাকে দিয়ে যাব।’ মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন, ‘আপনাকে ভোট দেব।’ নতুন ভোটাররা বলছেন, ‘আমি নায়ককে ভোট দেব।’ এক ভদ্রমহিলা অনেক ভিড়ের মধ্যে এসে আমাকে বলছিলেন, ‘আমি আপনাকে ভোট দিতে চাই, কিন্তু আমি তো চুয়াডাঙ্গার ভোটার। আমাকে একটু বদলাইয়ে এখানে নিয়ে আসেন।’ তবে এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, নভেম্বর মাসের শেষ থেকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বিষয়টা ঘটল। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার কাছে পুরো জার্নিটাই নতুন।এত দিন আপনার বলা সংলাপগুলো সাধারণ মানুষ বলেছেন, এবার তাদের কথাগুলো নিশ্চয়ই আপনি বলবেন?অবশ্যই বলব। শুনব আগে। বলব পরে। আমি আমার কথা বলতে নির্বাচন করিনি। নির্বাচন করেছি সাধারণ মানুষের কথা বলতে। আমার নির্বাচনী আসনের (ঢাকা-১০) মানুষের যে অবস্থা আমি দেখেছি, যা যা আমাকে তারা বলেছেন, সবই সংসদে তুলে ধরার চেষ্টা করব। অনেক বড় সমস্যা হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম। ধানমন্ডি লেকের সংস্কারের একটা ব্যাপার আছে। মাঠগুলো আরও আধুনিক করা, স্মার্ট মাঠ করে তোলা সম্ভব। প্রচুর রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট আছে, এগুলোর সঠিক ব্যবহার দরকার। আবার হাজারীবাগের ওদিকের কিছু কাজ, রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানির সমস্যা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি থেকে আপাতত যেগুলো সমাধান করা সম্ভব, তা করব। সুদূরপ্রসারী কাজের পরিকল্পনাও করতে হবে। নায়ক হিসেবে আমি সবার। কিন্তু জননায়ক হিসেবে আমি ২০ লাখ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। তাদের সবার কথাবার্তা শুনে, তারপর সামনের দিকে যেতে হবে। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আছেন, যেকোনো ভিড়ের মধ্যেও তিনি আমার হাতটা ধরে থাকতেন। আমি সব সময় চাই, তার এই হাত যেন সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। আমার ওখানে এমনও নেতা আছেন, যারা ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছেন, কেউ কেউ মনোনয়নপ্রাপ্য। তাদের সবাইকে বড় আপা (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যখন বলেছেন আমার জন্য কাজ করতে, তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।এখন আপনার মূল কাজটি তা হলে কী?আমি নির্বাচনী এলাকার মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি। আশা করছি আমি পারব। জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে পাস করিয়েছেন। তাদের জন্য কাজ করাই এখন আমার মূল কাজ। এখন আমার সব ভাবনা জনগণকে নিয়ে। রাজনীতিতে পথচলা যেন সুন্দর হয়, সেজন্য সবার দোয়া প্রত্যাশা করছি। সবার জন্য কাজ করে সুন্দর একটা উদাহরণ সৃষ্টি করব আশা করছি। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এটা নতুন জীবন। আমি যতদিন বাঁচব, সাধারণ মানুষের কথা আগে ভাবব, তাদের জন্য আগে কাজ করব। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সম্মান ও বিশ্বাস রাখব।এই কাজ করতে নিশ্চয়ই শিল্পীবন্ধুদের পাশে পাবেন?শুরু থেকেই শিল্পীবন্ধুরা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। অরুণা বিশ্বাস, রিয়াজ, তারিন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সুইটি, সাবা, ভাবনা, সজল থেকে শুরু করে অনেকেই। ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, হানিফ সংকেত, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফা, তুষার খান, আহসানুল হক মিনুসহ অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। ভোটের সময় তাদের এই সমর্থন আমাকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। আগামীর পথটাও সবাই মিলে চলব ইনশাল্লাহ।চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক আপনি। এখন কি অভিনয় করবেন?কেন্দ্রীয় চরিত্র ছাড়া অভিনয় করব না। আমার ক্যারিয়ারে নেগেটিভ কিছু হবে, তেমন চরিত্রে অভিনয় করব না। অভিনয় করে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। অভিনয়ের জন্যই আমি নেতা হতে পেরেছি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d03ff00109,আমাদের সময়,১৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ নিয়ে দ্বিধা," এক বছরের বেশি সময় ধরে নেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির কোনো কার্যনির্বাহী পরিষদ। গত বছরের ১ ডিসেম্বর অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের কমিটি নির্বাচন দিলেও শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে সেই নির্বাচন স্থগিত হয়। এরপর আর আলোর মুখ দেখেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ১০ ধারার ‘ক’ তে বলা হয়েছে, কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচন প্রতি বছরের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। অনিবার্য কারণবশত যদি এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হয় তবে কর্মরত কার্যনির্বাহী পরিষদ ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করবে। সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে পূর্বের কার্যনির্বাহীর মেয়াদ না থাকায় তারা সাধারণ সভা আহ্বান করার অধিকারও হারিয়েছেন। ফলে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে কে?এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়। তারা নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে নির্দিষ্ট কোনো পন্থা বলতে পারেননি। কেউ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘আমি চাই শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ও কমিটি গঠন হোক। আমার একার কথা তো কেউ শুনবে না। কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ একমত হলে একটি সাধারণ সভা ডেকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’সামাজিক অনুষদের ডিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন করার উদ্যোগ নিলে এ বিষয়ে আমি সঙ্গে থাকব।’এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেক বছর নিয়মের মধ্যে থেকেই এটা হয়ে আসছে। আমি মনে করি, যাদের কারণে নির্বাচন ভণ্ডুল হয়েছে তাদের উচিত খুব শিগগিরই নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া। অন্য কেউ উদ্যোগ নিলে আগের মতো এবারও তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমার মনে হয়।’এ ব্যাপারে ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা সেই বার আবেদন করেছিলাম, কিন্তু কিছু হয়নি। আর আমরা উদ্যোগ নেওয়ার মতো কেউ না, তবে আমরা চাই নির্বাচন হোক।’কমিটি ও নির্বাচনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, এতদিন জাতীয় নির্বাচন ছিল। এখন অনেকেরই মতামত দেখলাম হয়তো খুব শিগগিরই কিছু একটা হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cf2de193c,আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪,বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিবৃতিতে যা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন," বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ। আজ বুধবার সংস্থাটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই অবস্থানের কথা জানান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।ব্রিফিংয়ে দুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, ‘নির্বাচনের নামে বাংলাদেশে যেসব মানুষ নিপীড়িন ও বঞ্চিনার শিকার হচ্ছেন তাদের ব্যাপারে জাতিসংঘে মহাসচিবের অবস্থান কী? আমরা জালভোট সম্বলিত একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন দেখেছি যা বড় রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করেছে। এই ব্যাপারে মহাসচিবের অবস্থান কী?’জবাবে দুজারিক বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি। জাতিসংঘ মহাসচিবসব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। প্রত্যেকের আইনি অধিকারকে সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য এটা খুবই প্রয়োজন।’বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে মহাসচিব উদ্বিগ্ন বলেও জানান দুজারিক।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce58841b0,আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন আজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে তারা অভিমত জানাবেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইরাক, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভারতের পর্যবেক্ষকরা।এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকেরা।ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার আন্দ্রে ওয়াই শুটব বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনও চমৎকার ছিল।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ceeba1975,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের কথা বলতে আমরা সংসদে যাব: জি এম কাদের," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘জনগণের কথা বলতে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাব।’আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হব না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমরা সংসদে যাব।’নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ জন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।’এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d036bf488,আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না: ইইউ রাষ্ট্রদূত," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে জানালেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবোবে এ তথ্য জানান তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি ইস্যু করা হবে।’পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে আরও অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমামাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করে।অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যও এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce214d11e,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব: বাহাউদ্দিন নাছিম," শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।‌আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আবুজরগিফারী কলেজে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।‌ এরপর বুথকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চান।‌পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছি। অনেক বয়স্করা এসেছেন। তরুণদের আগ্রহ বেশি। তারা বলছেন, জীবনের প্রথম ভোট দিলাম। মানুষের আগ্রহ সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিকে না বলাই তাদের এই ভোট। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। গত ১৫ বছরের উপহার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। ১৫ বছরের আন্দোলন সন্ত্রাস নৈরাজ্যের। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই। এজন্য তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে অংশ নেয় না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তারা বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নয়ন হয়েছে এবং হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce29db903,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট দিলেন নসরুল হামিদ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নসরুল হামিদ ভোট প্রদান করেছেন।আজ রবিবার দোলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে সকাল ১১টায় তিনি ভোট দিয়ে ভোট উৎসবে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশের মতো কেরানীগঞ্জেও আজ ভোট উৎসব হচ্ছে। সকলের মতো তরুণ ভোটার, বিশেষ করে যারা এবারই নতুন ভোটার হয়েছে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। আমি সকাল থেকেই আমার আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখছি। দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে সকলে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে। আমি নিজেও এখন আমার ভোট দিলাম। নির্বাচনটা যে উৎসব আর অগ্নি সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে ভোটারদের এই উপস্থিতি তা আবারও প্রমাণ করলো।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে ঢাকা-৩ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশেজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের চালানো অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব হিসেবে শীতকে উপেক্ষা করে তারা সকাল সকাল ভোট প্রদানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টিও এসেছে ঘুরে ফিরে তাদের কথায়। এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৩ আসনের পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce2c847ab,আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ঢাকা-৫ আসনে ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতি," ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা-৫ আসনের ডেমরার এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয় ও সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি হাতেগোনা। কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা গেলেও ভিতর অনেকটাই ফাঁকা।ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজলের অভিযোগ, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না নৌকার প্রার্থীরা। একই সঙ্গে এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এ দুই কেন্দ্রের বাইরে নৌকা, ট্রাক ও ঈগলের সমর্থকদের ভিড়। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। ভোটারদের অপেক্ষায় পোলিং অফিসাররা।পুরুষ ভোটারকেন্দ্র এম এ ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৫৩ জন। বেলা ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় সাতটি বুথে পড়েছে ৩৫১ ভোট।নারী ভোটারকেন্দ্র পাশের সারুলিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৬ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ৭০টি, বাকি দুই ঘণ্টায় বেড়ে ২৭২ ভোটে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান সজল আমাদের সময়কে বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহু লোক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। কারণ, আমার ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্ট থাকলেও ভোটার ভেতরে আসতে না পারলে লাভ কী? আমার সামনেই আমার এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। অধিকাংশ কেন্দ্রে তাই হচ্ছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম এ ছাত্তার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কাউকে ভয়ভীতি দেখানোর কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট কম পড়ছে। মজিবুর রহমান বলেন, যারা ভোট দেওয়ার দিয়েছে। ধীরে ধীরে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিকঠাক আছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম মনে হচ্ছে।এদিকে এ আসনে ১৩ জন প্রার্থী থাকলেও পোলিং অফিসার দেখা গেছে মাত্র তিন প্রার্থীর। ট্রাক ছাড়াও নৌকা ও ঈগলের পোলিং অফিসার রয়েছে। বাকি প্রার্থীদের কাউকে দেখা যায়নি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ আসন ডেমরার পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। তাদের ভোটগ্রহণ চলছে ১৮৭টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৮৯টি ভোটকক্ষে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018caf02b496,আমাদের সময়,২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বিকেলে ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার আরও ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন।বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে এসব জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি।আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় অংশ নেবেন। তিনি পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ভার্চুয়াল জনসভা সফলভাবে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর পাঁচ জেলায় এবং ২৩ ডিসেম্বর ছয জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cab8637d6,আমাদের সময়,২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পরাজয় ঘটবে’," আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ।আজ বুধবার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহপুর সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা যখন থেকে এই কেরানীগঞ্জ এলাকায় রাজনীতি শুরু করেছি, আওয়ামী লীগ থেকে এই এলাকায় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এই এলাকায় এমন কোনো অলিগলি ছিল না, যেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল না। কেরানীগঞ্জের ‘অন্ধকার সময়’ মনে করে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, মানুষ সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হতে পারতেন না। কারণ, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ছিল এই এলাকার নৈমিত্তিক ঘটনা। এই অঞ্চলে উন্নয়ন বলে কিছু ছিল না। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরও এ অঞ্চল এতটাই অবহেলিত ছিল যে, মানুষ ‘বাতির নিচে অন্ধকার’ বলে কেরানীগঞ্জকে অভিহিত করতো। ‘অন্ধকার সময়’ উত্তরণের গল্পও ওঠে আসে ঢাকা-৩ এর এ নৌকার কান্ডারির কণ্ঠে। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের অন্ধকারের সেই অবস্থার উত্তরণ আমরা করেছি। মানুষের মনে এখন এটা প্রতিষ্ঠিত যে- কেরানীগঞ্জ এখন আর সন্ত্রাসের জনপদ না। কেরানীগঞ্জ এখন বসবাস উপযোগী ভালো উপ-শহর। এখানে উন্নয়ন হয়েছে, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনই মানুষের নিরাপত্তা আছে। ২৪ ঘণ্টা এখন বিদ্যুৎ থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। দিনে দিনে এই সুযোগ-সুবিধা গুলো আরও বাড়ছে। এসময় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য প্রতিহতের ডাক দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, যদি উন্নয়ন চান, বিএনপি-জামায়াতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে চান; তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে কেরানীগঞ্জে আরও উন্নয়ন হবে। এ সময় ৭ জানুয়ারি সকাল-সকাল ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ভোট বিপ্লবের মধ্যদিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহর চাঁন মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, তেঘরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লাট মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D09B,আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, পদ্ধতির পরিবর্তন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে -জিএম কাদের," জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমাদের শাসন পদ্ধতিতে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। প্রধানমন্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে কোনো পরিবর্তনকে আমরা পরিবর্তন মনে করি না। বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।জিএম কাদের আরও বলেন, আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের সময় এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দেশে নির্বাচনগুলোতে কোনো দলেরই সব আসনে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া সম্ভব না। তাই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হয়। প্রধান দুই দলের নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত দুটি জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। একপর্যায়ে সব দল নিজস্বতা হারিয়ে দুটি দলে বিলীন হয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cde4786f3,আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, দুই শতাংশ ভোট পড়লেই নির্বাচন হয়ে যাবে: সিইসি ," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ভোট দেওয়া নাগরিক-অধিকার। কাউকে সেই ভোটদান থেকে বিরত রাখা অপরাধ। এটা বলা কঠিন, কত ভোট পড়লে আমি খুশি হব। তবে দুই শতাংশ ভোট পড়লেই নির্বাচন হয়ে যাবে। কত শতাংশ পড়লে একটা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।’আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড অনুসারে আমাদের আইন রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যেভাবে বলি, সেভাবে নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয় না।’আমাদের নির্বাচন কেবল দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভোট শুরু হবে সকাল ৮টায়, শেষ হবে বিকেল ৪টায়। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন থাকলে ভোট শেষ হতে আরও দেরি হতে পারে। অর্থাৎ যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ভোট দেওয়া শেষ হলেই ভোট বন্ধ হবে।’হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট রাখার অনুরোধ করছি, যেন ভোটাররা ভোটদানে বাধাগ্রস্ত না হন।’এসময় নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। আগামীকাল রবিবার ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd00dd3c3,আমাদের সময়,৩ জানুয়ারি ২০২৪, পুরান ঢাকাকে ‘স্মার্ট ঢাকা’ বিনির্মাণে কাজ করব: সাঈদ খোকন," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পুরান ঢাকাকে নতুন করে ‘স্মার্ট ঢাকা’ বিনির্মাণে কাজ করবেরন বলে জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ বুধবার পুরান ঢাকার ওয়ারীতে নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।পুরান ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রমোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচিত হতে পারলে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নেব। প্রধানমন্ত্রী এবার স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমি পুরান ঢাকার সমস্যা দূর করে একটি স্মার্ট ঢাকা বিনির্মাণের জন্য কাজ করব।’তিনি বলেন, ‘আমি মেয়র থাকা অবস্থার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এবার আমাকে জনগণ নির্বাচিত করলে আমি পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে গড়ার জন্য কাজ করব। এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ হবে। এক সময় টোকিও বা সিঙ্গাপুর সিটি পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছিল। প্ল্যান করে এটাকে উন্নয়ন করা হয়েছে। আমরাও এরকম একটা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি।’জনগণ ভোট দিতে যাবে কিনা এবং জনগণের কি রকম সাড়া পাচ্ছেন, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘যখন থেকে প্রচরণার কাজ শুরু হয়েছে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রায় এক মাস যাবত আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার নেত্রীর সালাম পৌঁছে দিয়েছি এবং ভোট প্রার্থনা করছি। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। প্রচারণায় গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগামী ৭ জানুয়ারি এই এলাকার মানুষ ভোট দিতে আসবে এবং নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে আমরা নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছি।’ ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccf0c1ba7,আমাদের সময়,৩ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটকেন্দ্রে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি দেখছি না: সিটিটিসিপ্রধান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার ঝুঁকি দেখছেন না বলে জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও পরিবারের জন্য ফ্রি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সিটিটিসিপ্রধান বলেন, ‘আমাদের জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুদিন আগেও আমরা একটি সংগঠনের মূল ব্যক্তিসহ অপারেশনাল কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছি, যারা নতুন করে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। এই মুহূর্তে জঙ্গি হামলার কোনো ঝুঁকি নেই, জঙ্গিদের সেই সক্ষমতাও নেই।’মো. আসাদুজ্জান বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় যেসব সংসদীয় আসন রয়েছে, কোথাও কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে বিরাজ করছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী কিছু ঘটবে না এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সেরকম প্রস্তুতিও রয়েছে। যে কোনো ধরনের অরাজকতা, নাশকতা ঠেকাতে ও প্রতিরোধে সক্ষমতা রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের।’নির্বাচন কেন্দ্রে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার শঙ্কা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে সিটিটিসিপ্রধান বলেন, ‘জঙ্গিদের মাথাচাড়া বা তাদের তৎপরতা কিংবা কোনো ঝুঁকি আমরা দেখছি না। এই মুহূর্তে জঙ্গি হামলার কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা প্রস্তুত, কাজ করছি, যাতে এ ধরনের কোনো অপরাধপ্রবণতা পরিলক্ষিত হলে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে পারি।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8791f501,আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, আবার প্রমাণ হলো বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী: মঈন খান," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে পুনরায় প্রমাণ হয়েছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আজ বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপির আজকের ঘোষণা নতুন করে এই সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে, বিএনপি একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল, যারা ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল হয়ে তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন পরিচালনা করে থাকে।’তিনি আরও বলেন, ‘এই একদলীয় সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের অপশাসন, মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট, আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি সরকারের ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ কর্মসূচি (সিভিল ডিজওবিডিয়েপ্স) ঘোষণা করেছে।’বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশকে এই বাকশালী সরকার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক গভীর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা। সেই উদ্দেশ্যেই আজ বিএনপি অসহযোগের মন্ত্রে সরকারকে দীক্ষিত করে দেশের আঠার কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রয়াসে সরকারকে সংঘাতের পথ থেকে বেরিয়ে এসে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ উন্মুক্ত করতেদেশবাসীর প্রতি এই আবেদন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করে।’ড. মঈন খান বলেন, ‘আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে পারে, যা অর্জন করার উদ্দেশ্যে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী আজ রাজপথে নেমেছে। বিএনপির জন্যে নয়, কোনো ব্যক্তির জন্যে নয়, বরঞ্চ এ দেশের সকল মানুষের মৌলিক ভোটের অধিকার তথা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের আন্দোলন চলতেই থাকবে।’ ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8bd77448,আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাবেন: নৌ প্রতিমন্ত্রী," নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সারা দেশের মতো আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। নির্বাচনের সাড়া পড়ে গেছে। মানুষ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাবেন। একটি জাগরণ তৈরি হয়েছে। মুখরিত প্রচারণা চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সুসমন্বিত উন্নয়নে বিশ্বাসী।’আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জেটি ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় সন্দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সন্দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সন্দ্বীপে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জেটি আছে। সন্দ্বীপের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাতে চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ‘বয়া’ বসানো হয়েছিল।’নতুন জেটি ও টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন এ জেটি নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। পর্যটন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চারিত হবে। সন্দ্বীপ অংশে আরসিসি জেটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজটি করবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। বিআইডব্লিউটিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এ এস এম আশরাফুজ্জামান এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c912868db,আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, পুরান ঢাকাকে বাসযোগ্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন সাঈদ খোকন," মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পুরান ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলাই হবে আমার প্রথম কাজ।’আজ শুক্রবার পুরান ঢাকার নাসির উদ্দিন সরদার লেনের বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে গণসংযোগ করার সময় সাংবাদিকদের এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার সন্তান, এটাই আমার বড় পরিচয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকা অবস্থায় এবং এরপরে আমি যে কাজ করেছি তাতে বিশ্বাস করি এই এলাকার মানুষ তাদের ভালোবাসার উপহার স্বরূপ আমাকে একটি করে ভোট দিবে। সে হিসেবে আমি বিশ্বাস করি অন্যান্য আসন থেকে এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে। এই এলাকার ভোটারদের কেউ আটকাতে পারবে না। তাই অন্য এলাকার থেকে এখানে ভোট বেশি হবে।’পুরান ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘পরিকল্পনা করে পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিব। আমার মেয়র থাকা অবস্থার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, এবার আমাকে জনগণ নির্বাচিত করলে আমি পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে গড়ার জন্য কাজ করব। এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ হবে। টোকিও বা সিঙ্গাপুর সিটি এক সময় পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছিল। প্লান করে এটাকে উন্নয়ন করা হয়েছে। আমরাও এরকম একটা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি। আমি নির্বাচিত হতে পারলে নেত্রীর নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নিব।’মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমরা পুরান ঢাকার সমস্যা দূর করে একটি স্মার্ট ঢাকা বিনির্মাণের জন্য কাজ করব।’এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার সন্তান। এই মানুষের সঙ্গে বেড়ে উঠেছি, আমার জীবন এই এলাকার মানুষকে কেন্দ্র করেই। তাই আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন পরিবর্তনের একটা সূচনা করেছিলাম। বর্তমান যে কর্তৃপক্ষ রয়েছে পরিবর্তনের ধারাটা চলমান রাখা তাদের দায়িত্ব। আমরা তাদের উৎসাহিত করব, সহযোগিতা করব। আশা করি সিটি করপোরেশন আমাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c2face916,আমাদের সময়,০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ইসিতে আওয়ামী লীগের চিঠি," আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট সংলগ্ন রাস্তায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। উক্ত সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’ এর আগে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি নিতে হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c29e2f81a,আমাদের সময়,০২ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য: ওবায়দুল কাদের," শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কেউ বিএনপি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় বরং এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না’আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।’তিনি আরও বলেন, ‘২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালো হাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে।’স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকে বাধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণের নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাচাই হবে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয় এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সব ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষ। বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বিএনপির যেসব নেতা জেলে রয়েছে তারা দায় এড়াতে পারবে না। তাদের বিচার হচ্ছে। একইভাবে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে, সবকিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c29fc92ef,আমাদের সময়,০২ ডিসেম্বর ২০২৩, তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলির সিদ্ধান্ত: ইসি," নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ‘মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিয়েউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।’আজ শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।’কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। জেডি পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি আমাদের নিবন্ধিত দল নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে দেখা গেছে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি এবং একটি স্থানে দুইবার জমার দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।’যে ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি, সেখানে কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে।’ওসি ও ইউএনওদের বদলি সরকার চেয়েছে নাকি আপনারা চেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন, তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে, এ বদলি দরকার। সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছেন, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত।’কোনো এক নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘বড় আকারে রদ বদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ১০০ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে, তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে। কমিশনে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি সেটা বলতে পারব না।’ডিসি-এসপিদের বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরবর্তীতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।’স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার ঘাটতিতে না ভোগে। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।’সব প্রার্থীদের বডিগার্ড দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো সম্ভব হবে না। এতো বডিগার্ড দেওয়া যাবে না। তবে, নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য।’সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘যদি কমিশন মনে করে, সেটার প্রয়োজনীয়তা আছে তাহলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ মুহূর্তে এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c48f86b2d,আমাদের সময়,০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, আসন ভাগের বিষয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের আসন ভাগের বিষয় নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা। জোটের সবচেয়ে বড় শরিক আওয়ামী লীগ কোন কৌশলে অন্য শরিকদের তুষ্ট করবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যা হওয়ার ১৭ তারিখের আগে হবে। এরপর আর এই সমস্যা থাকবে না।’আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সম্মানজনক’ আসন ভাগাভাগি হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সেদিন বিকেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের কাছে এই প্রত্যাশার কথা জানান। তার আগে ৪ ডিসেম্বর ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত সোমবার বৈঠক করেন। সেখানে জোটের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই জোটের দুই দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল। জোটের সম্মান রক্ষা করে যেন আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। আমাদের এখন ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন, প্রত্যাশা ২০ জনের।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c361d32b5,আমাদের সময়,০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী ইশতেহারে নারী অধিকার স্পষ্ট করার আহ্বান," নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়েছে নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশ (অরফবি)। সংগঠনটি বলছে, পরিবার থেকে প্রতিষ্ঠান আর সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায় পর্যন্ত সর্বস্তরে নারীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর এখানেই রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা অতি জরুরি।গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘নির্বাচনী ইশতেহার ও নারী অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি এসব কথা বলেন।আলোচনা সভায় সমাজকর্মী ও নারীবাদী খুশি কবীর বলেন, ‘প্রত্যেকটা দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তাদের বলব নারী অধিকারের বিষয়টা যেন তারা নির্বাচনী ইশতেহারে সামনে নিয়ে আসেন। যারা নির্বাচনে আসবেন না, তারাও যেন এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াতে নারীর অগ্রাধিকারের ব্যাপারে বেশ নাম করেছে, এটা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। কিন্তু তারপরও আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই সমঅধিকার।’তিনি বলেন, ‘আমাদের সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ছিল এবং আমাদের নির্বাচন কমিশনেরও অঙ্গীকার ছিল, এক তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের নমিনেশন দিতে হবে। একটা সময়সীমাও দেওয়া ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। এখনো আমরা দেখছি, ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেটাও মাত্র ৮ শতাংশ। এটা আমাদের আরও বাড়াতে হবে।’খুশি কবীর বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হলো, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন যেটা আছে, অন্য সংসদ সদস্যরা যারা ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসছে তারা সমান দৃষ্টিতে দেখছে না। এই যে সংরক্ষিত আসন এবং সরাসরি নির্বাচিত আসনের মধ্যে যে পার্থক্যটা আছে, সেটা আমরা বারবার বলে আসছি- আমরা নারীদের কোটা সিস্টেম চাই অথবা কোনো ব্যবস্থা চাই। এখানে যেন কোনো ব্যবধান না থাকে।’এসময় তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন- ১. উত্তরাধিকার ও অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে অভিন্ন পারিবারিক আইন করা। ২. শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ায় যানবাহন চালু ও উচ্চশিক্ষায় বাজেট বাড়ানো। ৩. স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মেয়ে ও কন্যাশিশুদের জন্য দেশের সব প্রান্তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ। ৪. কর্মক্ষেত্রে নারী নিয়োগ বাড়ানো। ৫. নারীবান্ধব বিচারব্যবস্থানারী নেত্রী মমতাজ লতিফ বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিহত করতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি গঠন করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বইপত্রের চেয়েও প্রচারণা বেশি কার্যকরী।সাবেক সংসদ সদস্য ও খালেদ মোশাররফ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদ বলেন, সমাজ ও রাজনীতিতে নারীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হলে পুরুষের চিন্তাধারা বদলাতে হবে। ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব কোনো দলই নিশ্চিত করতে পারেনি। পুরুষ রাজনীতিবিদরা নারী রাজনীতিবিদদের মর্যাদা দেন না। নারী রাজনীতিবিদদের অন্য নারীদের এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে হবে।‘আমাদের অর্থনীতি’র সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি বলেন, নারীরা শিক্ষায় এগিয়ে গেলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া পরিবর্তন আসবে না।সভায় অরফবি’র সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই ধর্ম, বিশ্বাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, চিন্তা ও আদর্শগত পার্থক্যের কারণে নারী অধিকার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান এবং মতপার্থক্য রয়েছে। একপক্ষের কাছে যা অধিকার, অপরপক্ষের কাছে তা অনধিকার বলে বিবেচিত হয়। অনেকে আবার পুরুষের সমকক্ষতার অর্জনকেই নারীর প্রকৃত অধিকার বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক সচেতনতার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা অতি জরুরি।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী দেশে নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল ৪৪টি হলেও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে। খুব শিগগির দেশ ও জাতির কাছে আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে নির্মাণ করবে, নাগরিক সুযোগ- সুবিধা কতটা নিশ্চিত করবে কিংবা উন্নয়নশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা ইশতেহারের মাধ্যমে তুলে ধরবে।মাহমুদা খানম মিলি বলেন, ‘আমরা মনে করি, নারীর অধিকার, নারীর শিক্ষা, চিকিৎসা, সুরক্ষা-সহ সমঅধিকারের বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতিবন্ধভাবে লিপিবদ্ধ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোট ভোটারের অর্ধেক নারীদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।’তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় ছাড়া আমরা পিছিয়ে যাব না। সমাজে খালি পুরুষ নেতৃত্ব দেবে, তা হবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। এখন আর পেশিশক্তি নয়, যোগ্যতা ও মেধাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটিই আমাদের দাবি।’সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি রোকসানা বিলকিস, সহসভাপতি সাবিহা সুলতানা লাবনী, সাধারণ সম্পাদক কোহিনূর আজাদ মলি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান শামসসহ অনেকে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c34277a8a,আমাদের সময়,০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সাঈদ খোকনের মনোনয়ন বৈধ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার সাবিরুল আলম।আজ সোমবার সাড়ে ১০টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করায় রিটার্নিং অফিসারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।এ প্রসঙ্গে সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সব সময় বলে থাকেন, আমরা সব সময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। দেশের সব আসনে একাধিক প্রার্থিতার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটা পূরণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা খুবই খুশি আমরা একটি উৎসবমুখর নির্বাচন জাতির কাছে উপহার দিতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।’শরিকদের সঙ্গে ঢাকা-৬ আসন সমঝোতা হলে সমস্যা হবে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাইদ খোকন বলেন, ‘আমি আশা করি এই ধরনের কিছু হবে না। ইনশাআল্লাহ ঢাকা-৬ আসনে আমি নৌকা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। সেই লক্ষ্যে নগরবাসী এবং দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া কামনা করছি।’ সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার প্রয়াত বাবা মোহাম্মদ হানিফ তার নিজের জীবন দিয়ে নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন। যা স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। আমি তার সন্তান। আমার নেত্রীর যেকোনো সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নিতে প্রস্তত।’সাঈদ খোকন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের সন্তান। ২০০৪ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৬ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য-১ ছিলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c4eb3d411 ,আমাদের সময়,০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, প্রার্থিতা ফিরে পেতে শেষ দিনে ১৩০ জনের আপিল ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আরও ১৩০ জন আপিল আবেদন করেছেন। এ নিয়ে পাঁচদিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।আজ শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন চত্বরে এ আপিল আবেদন করেন তারা।ইসি কর্মকর্তারা বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং আজ ১৩০ জন আপিল আবেদন করেছেন। পাঁচদিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701004, ভোরের কাগজ, ১২ জানুয়ারি ২০২৪, অসাংগঠনিক প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জাপার," জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর আহ্বান ছাড়া অন্য কারো আহ্বানে দল সংশ্লিষ্ট ঢাকায় কোনো সভা, সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করতে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় পার্টি।শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতাকে কোনো কুচক্রী মহলের অবৈধ ও অসাংগঠনিক প্ররোচণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701149 , ভোরের কাগজ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ড. হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা," পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।এক্স বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন। ভারত এবং বাংলাদেশ মৈত্রীর সম্পর্ক একসঙ্গে আরো গভীর করতে উন্মুখ।এর আগে গত ১১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।উল্লেখ্য, ড. হাছান মাহমুদ ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী এবং ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দলটির পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে ১ লাখ ১ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, একই বছরের ১ আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে গত পাঁচ বছর তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাছান মাহমুদ। এরপর চতুর্থ মেয়াদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/701170, ভোরের কাগজ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪," বিরোধী দল স্বতন্ত্র নাকি জাপা, আইনে কী আছে"," বিরোধী দল কারা হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্নআইনে কী বলা আছেসংবিধান বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন ইতিহাস কী বলেযা বলছেন আ.লীগের স্বতন্ত্ররা ও জাতীয় পার্টিদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হলেও দল হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়ায় জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হবে। সে হিসেবে জি এম কাদের হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা। তবে সংসদে বিরোধী দল কারা হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।বিরোধী দল নিয়ে আইনে কী বলা আছেদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার পাঁচ গুণের বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দল না হলেও স্বতন্ত্র এমপিরা জোট বেঁধে সংখ্যায় বেশি হলে বিরোধী দল হতে পারবেন কিনা– এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা নেই সংবিধান, আইন ও সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে। আইন ও বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’ সেই হিসেবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়।সংবিধান বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার গঠন করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে, এটা সংবিধানে বলা আছে। তবে বিরোধী দলের বিষয়ে বলার কিছু নেই। প্রথা বা রেওয়াজ হচ্ছে, সরকারি দলের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দলই বিরোধী দল হবে এবং সেই দলের নেতা বিরোধী দলের নেতা হবেন। সেখানে তাদের কতটি আসন থাকতে হবে, এ রকম কোনো বিষয় নেই। সে কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দল হবেন, কোনো কোনো স্বতন্ত্র এমপি এমনটা বলে আসছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হবে না। জাতীয় পার্টিই বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেই অধিবেশনের আগে চূড়ান্ত করা হবে বিরোধী দল কারা হচ্ছে।সংবিধান বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন, স্পিকার স্বীকৃতি না দিলে বিরোধী দল ছাড়াই সংসদ চলতে পারে। এর আগে স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ও ষষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর গঠিত চতুর্থ সংসদে বিশেষ বিবেচনায় বিরোধী দল করা হয়। ১৯৮৮ সালে বিশেষ বিবেচনায় কয়েকটি দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত বিরোধী দলকে বিরোধী দল এবং তাদের নেতা আ স ম আবদুর রবকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এখানে বিরোধী দলের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারি দল জাতীয় পার্টির আগ্রহের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল।বিরোধী দল নিয়ে ইতিহাস কী বলে১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সেসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে জিতেছিল এবং বিরোধী দল ও স্বতন্ত্ররা সাতটি আসন পায়। সেসময় সাতজন সংসদ সদস্য বিরোধী দল গঠনের দাবি করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা প্রত্যাখ্যান করেন। প্রথম সংসদে কোনো বিরোধী দল না থাকলেও সাতজনের জন্য সংসদে একটি কক্ষ বরাদ্দ ছিল। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে প্রায় ছয় ডজন দলের সমন্বয়ে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠিত হয়। জোটটি তৎকালীন ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯টি আসন পেয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য কয়েকটি দল ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল।১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, যা আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ দল বর্জন করেছিল, সেবারও সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। সেই সংসদ মাত্র ১১ দিন স্থায়ী হয়েছিল। ওই নির্বাচনে তিনটি দল অংশ নেয় এবং বিএনপি ২৭৮টি আসনে জয়লাভ করে। ফ্রিডম পার্টি পেয়েছিল একটি আসন এবং স্বতন্ত্ররা পেয়েছিল ১০টি আসন। এছাড়া ১০টি আসনে ফলাফল স্থগিত করা হয় এবং একটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩০টি আসন পাওয়া বিএনপি সংসদে বিরোধী দল হিসেবে ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩৪টি আসন পেয়ে বিরোধী দল গঠন করে জাতীয় পার্টি। এসময় স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়ে ১৬ সদস্যের জোট গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা সংসদে বিরোধী দল গঠন করতে চাইলে এবারও এ ধরনের জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বিরোধী দল নিয়ে যা বলছেন আ.লীগের স্বতন্ত্ররা বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু। স্বতন্ত্র এমপিরা বিরোধী দলে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে কোনো ভালো কাজের সমর্থন করব। জনস্বার্থবিরোধী হলে সর্বোচ্চ বিরোধিতা করা হবে। যেহেতু সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে না, তাই বিরোধী দলের এমপির মতো সংসদে থাকতে চাই। বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে থাকবে।’সরকারে থাকতে আগ্রহী বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের টানা তিনবারের এমপি পঙ্কজ নাথ। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ অনুমোদিত স্বতন্ত্র এমপি। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে সংসদে কাজ করব।’ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী হলে কী করবেন– প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে তখন সিদ্ধান্ত হবে। যতটুকু পারমিট করে, ততটুকু বিরোধিতা করব।’যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র এমপি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘জোট গঠনের ব্যাপারে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। শপথ নিয়ে এলাকায় ফিরেছি। বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথে ছিলাম। সেখানেও কারো সঙ্গে জোট গঠনের কথা হয়নি। স্বতন্ত্রদের নিয়ে জোট গঠনের ব্যাপারে ভাবছি না। প্রস্তাব এলে চিন্তাভাবনা করা যাবে।’জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে হারিয়ে আলোচনায় আসা কুষ্টিয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কামারুল আরেফিন বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে জোট গঠনের সংবাদ পত্রিকায় পড়েছি। তবে কেউ আলোচনা করেনি।’ মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বতন্ত্র হিসেবে জিতলেও আওয়ামী লীগের বাইরে নই। তাই কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেব।’ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের স্বতন্ত্র এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখনো জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। নেত্রী যেভাবে বলবেন, সেভাবেই এগিয়ে যাব।’ ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র এমপি মাহমুদ হাসান সুমনও সরকারে থাকতে চান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কারো সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। জাপার প্রার্থী ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে উন্নয়নে কাজ করে যাব।’সরকারে থাকতে চান রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে হারানো স্বতন্ত্র এমপি শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি বলেন, ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করতে হয়েছে কাঁচি প্রতীকে। বুকে বঙ্গবন্ধুকে ধারণা করি। নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন, তা-ই করব। নেত্রীর নির্দেশের বাইরে নই। সংবিধান বা কোথাও বলা নেই, আওয়ামী লীগ করা যাবে না।’স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে চান নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপিরা যাঁর যাঁর পদ-পদবি অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন।’ নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের স্বতন্ত্র এমপি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আপাতত কোনো জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে চলব।’রংপুর-৫ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র এমপি জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘৩৭ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। অন্য কোনো জোট নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে থাকতে চাই।’ নীলফামারী-৩ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলও স্বতন্ত্র জোটে নয়, আওয়ামী লীগে থাকতে চান। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, ‘স্বতন্ত্র জোট আমার কাছে একটি অসহ্য ব্যাপার। আমি তা চাই না। আমি আওয়ামী লীগের। স্বতন্ত্র এমপি হয়েছি বলে বিরোধী দল, এটি মেনে নিতে পারছি না।’ চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র এমপি আবদুচ ছালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিলে স্বতন্ত্র জোটে যাব। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নই।’ একই কথা বলেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র এমপি এম এ মোতালেব। নওগাঁ-৬ থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে জয়ী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে নেত্রী নৌকা প্রতীক দিতে পারেননি। কিন্তু তিনি তো আমাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেতা। তাকে সহযোগিতা করাই আমার কাজ। সরকারি দল বা বিরোধী দল ওসব কিছু না। নেত্রী যা বলবেন আমি তাই করব। আর এর পরেরবার আমি তো নৌকা প্রতীক পাবো নিশ্চিত।পিরোজপুর-৩ আসনের শামীম শাহনেওয়াজের বলেন, ‘‘আমরা ৬২ জন প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন ওটার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। দেখা যাক। আমরা আবার নিজেদের মতোও থাকতে পারি। প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত দেন দেখি। তিনি জানান, ‘‘আমরা যারা স্বতন্ত্র নির্বাাচত হয়েছি তারা এখনো একসঙ্গে বসতে পারিনি। নিজেরা কথা বলতে পারিনি। বসার কোনো তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।’’জাতীয় পার্টি যা বলছেএবার জাতীয় পার্টি ১১ আসন পেলেও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘‘আমরাই তো বিরোধী দল। তারা যারা স্বতন্ত্র সবাই আওয়ামী লীগের। এখন সংসদে যারা বিরোধী তাদের মধ্যে যে দল বা অধিসঙ্গকে স্পিকারের কাছে বড় মনে হবে তাদেরকে তিনি স্বীকৃতি দিতে পারেন বিরোধী দল হিসেবে। স্বতন্ত্রদের বিরোধী দল হতে হলে তাদের জোট বা দল গঠন করতে হবে। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন। ওই পদ ছেড়ে তারা নতুন দল বা জোট গঠন করতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। তার কথা, ‘‘তারপরও তারা যদি বিরোধী দলের স্বীকৃতি পায় তাহলেও প্রকৃত বিরোধী দল থাকব আমরাই। আমরা হয়তো বিরোধী দলের সুযোগ সুবিধা পাব না। সংদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধী দল কারা তার সিদ্ধান্ত হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700180, ভোরের কাগজ, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে তারা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা মাঠে নেমেছেন।মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ার জন্য সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।আইএসপিআর আরো জানায়, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুইটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) মোট ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700165, ভোরের কাগজ, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সোয়া ৩ কোটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত চেয়ে রিট," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সুবিধাভোগী সোয়া ৩ কোটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদান বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছেন।বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।আইনজীবী ড. বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে বাধ্যতামূলক করার বিধান রয়েছে। আমেরিকার দুটি অঙ্গরাজ্যেও ভোট দেয়ার বাধ্যতামূলক বিধান চালু রয়েছে। বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশ। এই দেশেও সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদান বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।তিনি জানান, সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী ২ কোটি ৭৫ লাখ ভোটার রয়েছে। এছাড়াও আধা সরকারি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে মোট সোয়া ৩ কোটি ভোটার রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে এসব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়েছি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700129, ভোরের কাগজ, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, এবার নির্বাচনে সহিংসতা ও জানমালের ক্ষতি হবে না," নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এজন্য এবার সর্বাধিক বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে। বিগত অন্য যে কোন নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা কম হয়েছে। গত ২০১৪ সালে যে ব্যাপক সহিংসতা ও জানমালের ক্ষতি হয়েছিল, এবার তা হবে না।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ তৃতীয় দফায় ৮২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এরা ভোটের দিনসহ ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন। আনিছুর রহমান বলেন, আমরা মনে করি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ভোট অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে ভোটের সময় রাষ্ট্রের সব নির্বাহী বিভাগ সুষ্ঠু ভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। সবার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। তারই অংশ হিসেবে আমরা সবাই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবো। কোনোভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেয়া যাবে না। যখন যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত সে পদক্ষেপ নিতে হবে।তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কে কোন দল কোন মত কোন পথ- এটা দেখা যাবে না। ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700481, ভোরের কাগজ, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন প্রতি খরচ ৭ কোটি," আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১২তম সাধারণ নির্বাচন এটি। এই নির্বাচন আয়োজনে সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই হিসেবে আসনপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ৭ কোটি টাকারও বেশি।শনিবার (৬ জানুয়ারি) ইসির এক সূত্রে এ তথ্য জানা জানা গেছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে বরাদ্দের চাহিদা বেড়ে সবমিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।ইসি কর্মকর্তারা আরো জানান, এবারের নির্বাচনে তিন হাজারের মতো ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা ও মোতায়েনের সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।সারা দেশে এবারের নির্বাচনে আনসার সদস্য থাকছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার জন। পুলিশ ও র‌্যাব থাকছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য থাকছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকছেন প্রায় অর্ধলাখ। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবার চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার থাকছে। এ ছাড়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং ইসি সচিবালয় ও প্রশিক্ষণেও বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে।উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরে তা বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে, দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, নবম সংসদ নির্বাচনে ১৬৫ কোটি টাকা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা, সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে ৩৭ কোটি টাকা, পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা, তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। আর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে মোট ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700551, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন শোবিজ তারকারা," রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।এবারের নির্বাচনে দেশের সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক পছন্দের কোন তারকা কোথায় ভোট দিলেন।মেহের আফরোজ শাওন:জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট দিয়েছেন রাজধানী ধানমন্ডির গভমেন্ট হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে। ভোট দেয়ার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলে লাগানো অমোচনীয় কালি দেয়া ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভোট দিয়ে আসলাম।’ফেরদৌস আহমেদ:রবিবার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। তিনি ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফেরদৌস বলেন, ‘অভিনয়ে যেভাবে শতভাগ দিয়েছি দর্শকদের, সেভাবে চেষ্টা করব সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে।’ভোট দেয়ার ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে ফেরদৌস ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি ভোট দিয়েছি। আপনি দিয়েছেন কি?’মমতাজ বেগম:জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জে তার নিজের নির্বাচনী এলাকায় রবিবার সকাল ১০টার ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ভোট প্রদান করেন। পরে ভোট দেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন এই শিল্পী।তাপস-মুন্নী:গুলশান মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন গান বাংলা টেলিভিশনের কর্ণধার তাপস এবং তার স্ত্রী মুন্নী। ভোট দেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাপস লিখেছেন, ‘জয় বাংলা’তারিন জাহান:টেলিভিশন অভিনেত্রী তারিন জাহানও এবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে আঙ্গুলে অমোচনীয় কালি দেয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এ অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেন, ‘আমি আমার ভোট দিয়েছি, আপনি?’সৌম্য-দিব্য:নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা সহোদর সৌম্য ও দিব্য এবার প্রথমবারের মতো নিজেদের ভোট দিয়েছেন। তার মা অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য প্রকাশ করে দুই ছেলের ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রথমবার ভোট। যারা ভোট বর্জন করেছে, তারা তরুণদের আবেগ বর্জন করেছে। আমার ভোট, আমার দেশ, ভালবাসি বাংলাদেশ।’হিরো আলম:সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হিরো আলমও তার ভোটদানের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভোট দেয়া মানুষের অধিকার, এ অধিকার যারা কেড়ে নেয় তারা অপরাধী, আল্লাহ তাদের বিচার করুক।’হিরো আলম এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রবিবার সকাল সোয়া ৯টায় বগুড়া সদর উপজেলায় এরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন হিরো আলম।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700612, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আবারো জয়ী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী," ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্যরা হলেন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মো. নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. আবদুর রহমান খান (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক)।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ ২১ হাজার ৫৮৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চার লাখ ১৩ হাজার ৯৩২ জন এবং বিজয়নগর উপজেলায় দুই লাখ ৭ হাজার ৬৫২ জন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700577, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।সিইসি বলেন, ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আশঙ্কা ছিল যে, একটি পক্ষ ভোট বর্জন ও প্রতিহতের ঘটনায় ভোটার কম আসবে বলে আমরা ভেবেছিলাম তবে তা ঘটেনি। ভোটাররা মোটামুটি ভোট দিতে এসেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গোটা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। প্রার্থী ও ইসির মধ্যে যে অনাস্থা ছিল আমরা সবাই ভিজিট করে মিটিং করে কিছুটা মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যালট সকালে পৌঁছে দিয়েছি। প্রায় ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে আছেন, ৮ লক্ষাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছেন।তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগে ১৫টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। আচরণবিধি চূড়ান্তভাবে লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন। গণপ্রজাতন্ত্রী আদেশ (আরপিও) ৯১ ই (২) বিধান অনুযায়ী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। ভোটের দিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ এই প্রথম কোন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করলো।তিনি বলেন, স্বচ্ছতা দৃশ্যমানতার মাধ্যমে পুরো চিত্রটা তুলে ধরা হলে তা জনগণ বিশ্বাস করবে। যেসব টিভির মালিকরা প্রার্থী নন, সেসব চ্যানেলগুলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সত্যি ভাল ভূমিকা রাখে। আন্তর্জাতিক মহলে ভোট গ্রহনযোগ্য বলবে কিনা তা ভোট শেষে ও রেজাল্টের পরে বলবে নিশ্চয়ই। দলীয় সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি বলেই নির্বাচন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে আমাদের সমস্যা হয়নি বলে জানান সিইসি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700859, ভোরের কাগজ, ১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের বিজয় জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী," নির্বাচনের বিজয় জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আমরা তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করা। কিন্তু বিএনপি জামায়াত এই উন্নয়নের যাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে, নির্বাচনের এ বিজয় জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করতে হবে।তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল। মানুষ যখন কারাগার থেকে মুক্তি পায়, তখন তারা পরিবারের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের কাছে যাননি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। বলে ছিলেন, ‘তোমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছ, আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে এনেছ। এর ঋণ আমি প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে শোধ করব।’ তিনি তার বুকের রক্ত দিয়ে কেবল ঋণই শোধ করেননি বরং আমাদেরও ঋণী করে গেছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700885, ভোরের কাগজ, ১০ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যারা," এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন ১৯ মুখ জায়গা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ৭ জন প্রতিমন্ত্রী। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এসব নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রি পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। নতুন ঠাঁই পাওয়া ১২ জন পূর্ণমন্ত্রী হলেন- নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), জনাব র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), মো আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), নারায়ন চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মো জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)।সবশেষ মন্ত্রিসভায় ছিলেন না এমন সাত জন প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন, সিমিন হোসেন রিমি, মহিবুর রহমান, মোহাম্মদ এ আরাফাত, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল টিটু।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700756, ভোরের কাগজ, ১০ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবার শপথ নেবে না জাপার সংসদ সদস্যরা," জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (৯ জানুয়ারি) শপথ নিতে যাচ্ছেন না। দলটির নেতারা বলছেন, তারা নিজেরা আগে বৈঠক করবেন, তারপর শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। দলটি এবার ১১টি আসনে জয় পেয়েছে।দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে দুই-একদিনের মধ্যে দলীয় বৈঠক করে শপথ নেয়ার দিন–তারিখ ঠিক করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে বুধবার শপথ নিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত রবিবার। ভোটে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এই আসনগুলোর মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বুধবার। এদিন সকাল ১০ টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে তাঁদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রিসভার শপথ হবে বৃহস্পতিবার।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700772, ভোরের কাগজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবারই শপথ নেবেন জাপার সংসদ সদস্যরা," জাতীয় পার্টিতে আবারো নাটকীয়তা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই গুঞ্জন, জাপার নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিচ্ছেন না। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে দুই একদিনের মধ্যে দলীয় বৈঠক করে শপথ নেয়ার দিন-তারিখ ঠিক করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় দলের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বুধবারই শপথ নেবেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের বিরোধী দলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের নিয়ে পূর্ব ঘোষিত বৃহস্পতিবারের (১১ জানুয়ারি) সভাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বুধবার। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে তাদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রিসভার শপথ হবে বৃহস্পতিবার। জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে বুধবার শপথ নিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি। ভোটে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এই আসনগুলোর মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়। একাদশ সংসদে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা (সংরক্ষিত নারী আসন বাদে) ছিল ২৩টি। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। এই চার জ্যেষ্ঠ নেতার বাইরে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া, এ কে এম সেলিম ওসমান, মো. আশরাফুজ্জামান, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৬২ জন। তাদের মধ্যে ৫৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা। ফলে সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্ররা জোট করে বিরোধী দল হতে পারে, এমন সুযোগ আইনে রয়েছে। এর ফলে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের অবস্থানও হারাতে পারে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700779, ভোরের কাগজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী," তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করেছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।’ চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা চতুর্থবার নির্বাচিত এমপি হাছান বলেন, ‘বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করলো না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কি পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোসহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকেলে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি। ‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।’ তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলবো যে, গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে কিছু বলার জন্য। মানবাধিকার কমিশনের এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে নিয়ে বক্তব্য থাকতো এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা “কনডেম” করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদৃষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে, সে নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। ‘নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক’ এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিলো। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। আপনারা জানেন, ভারত, চীন, রাশিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি, চীন, রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে, আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা ইতিমধ্যেই না দিতো বা এই অভিমত ব্যক্ত না করতো তাহলে হয়তো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিটা অন্য রকম হতো বলে আমার ধারণা।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গণেও আমরা এক সাথে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সাথে সম্পর্ক আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সাথে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে।’জনগণ ও নির্বাচন কমিশনকে তথ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদএ দিন দেশের মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি, গড়ে ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ। আমার এলাকায় ৬৯.৪৩ শতাংশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় এর চেয়েও বেশি সম্ভবত ৮০ শতাংশ। শহরাঞ্চলে হারটা কিছুটা কম ছিলো কারণ শহরের মানুষ জায়গা পরিবর্তন করে, আবার তিনদিন টানা ছুটি পাওয়ার কারণে যেহেতু অন্যরা গ্রামে ভোট দিতে যাচ্ছে, তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্য অনেকেই গ্রামে চলে গেছে।’ এসময় নির্বাচন কমিশনকেও ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা শক্ত হাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে, এ জন্য নিঃসন্দেহে তারা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ইতিপূর্বের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে এমন কি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও এবারের নির্বাচন মিলিয়ে দেখা যায় যে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিন্তু অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700753, ভোরের কাগজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪," গণতান্ত্রিক আন্দোলন বৃথা যাইনি, যাবে না: ফারুক"," বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বৃথা যায়নি, বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে দেবো না। তাই আমরা মনে করি, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণকে নিয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো। এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ভোট বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে তাঁতী দল ও ওলামা দল।লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। যেখানে দেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সেখানে ৪০ শতাংশ ভোট দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা (বিএনপি) নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও লিফলেট বিলির মাধ্যমে জনগণে কাছে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। জনগণ আমাদের এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে এবং জনগণ এই একদলীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাই আমরা মনে করি, নির্বাচনটি জনগণ শূন্য, অংশগ্রহণ শূন্য, অগ্রহণযোগ্য হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার আরেকটি হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তারই বিরুদ্ধে আজকে নির্বাচনের পরে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করছি। আগামীকালও আমাদের এই লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলবে।তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক দেশ। তারা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রেরণ করেননি। তবে তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। সত্যিকার অর্থে দেশে যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, তারা সেটি বলবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহবায়ক গোলাপ মঞ্জুর, জেএম আনিসুর রহমান আনিস, মোস্তফা কামাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির মো. নুরুল্লাহ মোল্লা, মো. রিপন ব্যাপারী, গোলাম কাওসার, এম এ আজিজ, জিয়াউল হক প্রমুখ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700821, ভোরের কাগজ, ১০ জানুয়ারি ২০২৪, আ.লীগে যোগ দিলেন কবির বিন আনোয়ার," আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে তার হাতে প্রাথমিক সদস্য পদের ফরম তুলে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।এর আগে, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন কবির বিন আনোয়ার। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন সদ্য বিদায়ী এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব।সিরাজগঞ্জের সন্তান কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি কর্মজীবনে তিনবার জনপ্রশাসন পদক, ও দুইবার বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তার মা ও বাবা দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700684, ভোরের কাগজ, ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হবে," বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হতে পারে। ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন নসরুল হামিদ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। নির্বাচনে জয়ের পর সচিবালয়ে এলে অনেকেই নসরুল হামিদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে কমিশন শক্ত অবস্থান নেয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থীরা যে যেভাবে এলাকায় সময় দিয়েছেন ভোটাররা নির্বাচনে সেই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমাদের অর্থ বিভাগের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হবে।রবিবার সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। ৩০০ আসনের মধ্যে মোট ২৯৮টির ফলাফল বেসরকারিভাবে জানা গেছে। নির্বাচনের নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২২৪ আসন, স্বতন্ত্র ৬২, জাতীয় পার্টি ১১ ও কল্যাণ পার্টি একটি আসন পেয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700531, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, আমার ছেলে মন্ত্রী হবে: সাঈদ খোকনের মা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় পুরান ঢাকার বংশালের নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।এ সময় মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দেন তাঁর মা ফাতেমা হানিফসহ পরিবারের সদস্যরা। ভোট দেয়া শেষে নাজিরা বাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতো বিনিময় করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও তাঁর মা ফাতেমা হানিফ। আপনার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিল। তখন তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদা পেয়েছিলেন। এবার মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সংসদ সদস্য বিজয়ী হলে মন্ত্রী হবেন বলে প্রত্যাশা করেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্ত্রী ফাতেমা হানিফ বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ চাহেতো আমার ছেলে বিজয়ী হবে।'এর আগে, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান তিনি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700514, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, উত্তরায় বাড়ছে ভোটার উপস্থিতি," সকাল থেকে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্ভুক্ত উত্তরা এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একদমই কম। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরার মালেকাবান আদর্শ বিদ্যানিকেতনের কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী জানান, একসঙ্গে আব্দুল্লাহপুরের বাসা থেকে তারা তিনজন এসেছেন। খুব সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। কেউ কোন বাধা সৃষ্টি করেননি।কুড়িল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথের কেটলি মার্কার পোলিং এজেন্ট রায়হান বলেন, সকালে ভোটার উপস্থিতি একদমই কম ছিল। এখন বাড়ছে। এই কেন্দ্রে দায়িত্বরত ভাটারা থানার এসআই শহিদ আহমেদ জানান, ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।এদিকে নির্বাচনে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট হতে পারে এমন 'কাল্পনিক' ধারণা করলেও সকাল থেকে এই পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান। সকালে ঢাকা-১৮ আসনের উত্তরা হাই স্কুল কেন্দ্র ঘুরে তিনি এই কথা জানান। ভোটারের উপস্থিতি জানতে চাইলে ইসি আহসান হাবীব বলেন, এখনো বলার মত সুযোগ হয় নাই। শীতের সকাল আর বিশেষ করে এই এলাকা একটু এলিট এলাকা। তাই তারা হয়তো ঘুম থেকে একটু দেরিতে ওঠে। আমরা মনে করি বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে।ভোটের পরিবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকটা কেন্দ্র ঘুরেছি। সেখানের পরিবেশ ছিল অভূতপূর্ব। খুবই সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে যাতে নির্বিঘ্নে, নির্দ্বিধায় ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে এবং ভোট প্রদান করতে পারে। আমি পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলেছি, প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলেছি। এত সুন্দর পরিবেশ দেখতে পেরে সবাই খুশি। তারা ভাবছে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেটা অতীতে দেখে নাই কেউ। নতুন প্রজন্মের জন্য এটা একটা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700517, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে: কামরুল ইসলাম," ঢাকা-২ আসনের কেরানীগঞ্জে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে যে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।ঢাকা-২ আসনে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। যেটি সাভার, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে কামরাঙ্গীচরেই এক লাখ ৭৬ হাজার ভোটার রয়েছে। কামরাঙ্গীচরের ক্যামব্রিজ স্কুল কেন্দ্রে সাড়ে ১০ হাজারের ওপর ভোটার রয়েছে। ওই কেন্দ্রের ভোটাররা বলছেন, এখানে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবী। এখন যে উপস্থিতি, সেটি ক্রমেই বাড়বে।সকালে ভোট দিতে এসে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। যেহেতু শীতের সকাল। কিছুক্ষণ পর ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে। ভোটের দিন রবিবার সকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। শীতের সকাল কিছুক্ষণ পর ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে। কোনো ধরনের সহিংসতা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একেবারেই শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। খুব সুন্দর ভোট হচ্ছে। স্মুথলি সবাই ভোট উৎসব করছে, লাইন ধরে ভোট দিচ্ছে। যত সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ভোটারদের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700518, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট দিলেন মেয়র আতিক," ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে।'তিনি বলেন, 'অগ্নি সন্ত্রাস যারা করছে তারা চায় না সাংবাদিকভাবে রাষ্ট্র চলুক। কিন্তু জনগণ চায়, প্রধানমন্ত্রী চায় এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠিত হবে। জনগণ যাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবে সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।'রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ট্রেনে অগ্নি সন্ত্রাসকে অমানবিক ও পৈশাচিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, 'অগ্নি সন্ত্রাস করে বাচ্চাদের হত্যা করা অমানুষিক। বিএনপি, জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা এখনো আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পেট্রোল মেরে, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে ভোটের ধারাকে ব্যহত করা যাবে না। জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।'মেয়র বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জনগণ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমি বলি নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার গিয়ার একটি সেটি হলো উন্নয়নের গিয়ার। আজ ভোটের দিন সবার মধ্যে ঈদের আনন্দের মতো উৎসব। পুরো শহরে পুলিশ বাহিনী নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সুন্দর আবহাওয়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন।'সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন হয়। ভোট দেয়া জনগণের নাগরিক অধিকার। খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো সবাই ভোট দিন, আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আমি বিশ্বাস করি এবছর ভোটের পার্সেন্টেজ বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে। শীতের সকাল তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।'",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700513, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, গুলশান মডেল স্কুলে ভোট দিলেন আরাফাত," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নিজের ভোট দিতে সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান আরাফাত। এরপরে ভোট দেন তিনি।ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদে আসন নম্বর ১৯০। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জন। মোহাম্মদ এ আরাফাত ছাড়াও ঢাকা-১৭ আসনে আরো লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বি.এস.পি) থেকে একতারা মার্কায় লড়ছেন শাহ আলম, আম মার্কায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. গোলাম ফারুক মজনু, কুলা মার্কায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মো. আইনুল হক, সোনালী আঁশ মার্কায় তৃণমূল বিএনপির কাজী শফিউল বাশার, টেলিভিশন মার্কায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এস. এম. আবুল কালাম আজাদ ও বেলুন মার্কা নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700498, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, শতভাগ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশা," ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভোট দিয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজে সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোট দেন তিনি। ভোট দেয়া শেষে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাংবাদিকদের বলেন, ভোট দিলাম, এই এলাকার মানুষ আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। আশা করছি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ থাকবে এবং আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো। আপনার লোকেরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ বিষয়ে কি বলবেন? লিখিল বলেন, এই ঘটনা সত্যি নয়। কারণ, আমার কর্মী এজেন্টদের এ ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। আপনার দলের অনেকেই আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের প্রতি কি বলবেন, আমরা এমন কিছু করবো না যাতে প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কলঙ্কিত হয়। নিজ কেন্দ্রর ভোটার উপস্থিতি কম কেনো? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, এখন তো মাত্র সকাল, আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা আসবেন। তারা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে জানান দেবেন তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতোটা আস্থাশীল। এর আগে, ভোর ৭ টায় বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের মূল ফটকের সামনে কিছু ভোটারকে কেন্দ্রে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই কেন্দ্রে ভোটের দীর্ঘ লাইন না থাকলেও বিচ্ছিন্ন ভাবে ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন। বিশেষ করে নতুন ভোটার যারা আছেন, তাদের মধ্যে ভোট দানে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, মূল ভবনের দোতালায় প্রিজাইডিং অফিসার মো. মামুনুর ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সকাল ৮টা বাজতেই কেন্দ্রের ৪ টি বুথে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। প্রতিটি ভোট দিতে তিন থেকে চার মিনিট সময় নিচ্ছেন সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। কেন্দ্রর ৩ নম্বর বুথের প্রিজাইডিং অফিসার সোহেল রানা বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই ভোট নিচ্ছি, বয়স্ক ভোটা যারা আছেন, তাদের মূল ফটক থেকে প্রার্থীর এজেন্টরা গিয়ে নিয়ে আসছেন। ভোটারদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সকাল বেলা ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রটির ১নম্বর বুথে প্রথম ভোট দেন বাকের মিয়া। ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভালে ভোট হয়েছে, কোনো অসুবিধাই হয়নি; ভেতরে যারা আছেন তারা দিয়েছেন সবকিছু। কথা হয় নতুন ভোটার মিলির সঙ্গে, বোট দিয়ে কেমন লাগলো জানতে চাইলে খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে মিলি বললেন, খুব, খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই এক্সাইটেড, আশা করছি আমার পছন্দের প্রার্থী যাকে আমি ভোট দিয়েছি তিনিই জয়ী হবেন। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৮ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৪ আসন গঠিত। আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৯; নারী ভোটার ২ লাখ চার হাজার ৭৪৪ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪ জন।নির্বাচনে সংসদীয় আসন বাগাতে প্রার্থিতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল (নৌকা), জাতীয় পার্টির আলমাস উদ্দিন (লাঙ্গল), জাসদের আবু হানিফ (মশাল), তৃণমূল বিএনপির নাজমুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), বিএনএফের কামরুল ইসলাম (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহবুব মোড়ল (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ (একতারা), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আসিফ হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন (ট্রাক), লুৎফর রহমান (কেটলি), জেড আই রাসেল (ঈগল), এমরুল কায়েস খান (রকেট), মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ (দালান) ও কাজী ফরিদুল হক (বাঁশি)।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700496, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন বাহাউদ্দিন নাছিম," সারাদেশে রবিবার (৭ জানুয়ারি) একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে আবুজরগিফারী কলেজে ভোট পরিদর্শন করতে আসেন ঢাকা-৮ আসনের নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।‌ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।‌ শতবর্ষী শিরিয়া বেগমের শারীরিক খোঁজখবর নেন তিনি। এরপর বুথকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চান।‌ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছি। অনেক বয়স্করা এসেছেন। তরুণদের আগ্রহ বেশি। তারা বলছেন, জীবনের প্রথম ভোট দিলাম। মানুষের আগ্রহ সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিকে না বলাই তাদের এই ভোট। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। গত ১৫ বছরের উপহার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। ১৫ বছরের আন্দোলন সন্ত্রাস নৈরাজ্যের। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই। এজন্য তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে অংশ নেয় না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তারা বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নয়ন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700836, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, সংসদ নেতা হলেন শেখ হাসিনা,"আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর প্রস্তাবনায় নতুন সংসদের নেতা হলেন শেখ হাসিনা। এর সমর্থন জানান, নতুন নির্বাচিত চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, নতুন নির্বাচিত স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী, নতুন নির্বাচিত সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এবং নতুন নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ অনেকে।বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভোরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেন, এ বিজয় জনগণের বিজয়। জনগণের প্রতি সর্বোচ্চ দায়বদ্ধ থাকতে হবে সবাইকে। সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700834, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিলেন জাপার সংসদ সদস্যরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিজয়ী ১১ জন সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সংসদ ভবনের নিচতলার শপথকক্ষে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্যের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন।পরে তাদের শপথের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাংসদদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর নবাগত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন। পরে সোয়া ১১টায় শপথ নেনে স্বতন্ত্র এমপিরা।উল্লেখ্য, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে ময়মনসিংহের একটি আসন স্থগিত রেখে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা-৪ আসনের ফল হাইকোর্ট স্থগিত করলেও সেই আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আটকে যায়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700857, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য প্রস্তুত অর্ধশত গাড়ি," জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী— এসব গাড়ি প্রস্তুত রেখেছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। এসব গাড়িগুলো ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের কর্মকর্তারা দেখে গেছেন। শিগগিরই এসব গাড়ি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ৫০টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা মানে ৫০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। মন্ত্রিসভার যতজন সদস্য করা হবে, তার থেকে বেশি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়। অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী গাড়ি নিলেও কেউ-কেউ নেন না। অন্যদিকে আগের চারবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাই দায়িত্ব নেবেন বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে মন্ত্রিসভায় কারা-কারা স্থান পাচ্ছেন, তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে।আ. লীগ ও সরকারের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার ‘ক্লিন ইমেজধারী’ ও অভিজ্ঞ সদস্যরা নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। আর নতুন করে যুক্ত হবেন দলের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700868, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪," বিএনপি ভোট ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ করেছে, কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি"," বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করলেও, সরকার কোনো বাধা দেয়নি। তারা ভোট ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ করেছে, কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আর আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাকে অকার্যকর করতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়। এরপর বিকৃত ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে মানুষের মানসিকতা। আমাদের ক্ষমতায় আসা অনেক কঠিন ছিলো। মজার বিষয় হলো, স্বৈরশাসকরা ভোট চুরি করতো। তখন সেই ভোট নিয়ে কোনো কথা হতো না। আর আমরা যখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি, তখন নির্বাচন-গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!দেশের কিছু মানুষের জন্য আজ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব সুনাম করে বাংলাদেশের। কিন্তু দেশেরই কিছু মানুষ ভাবে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসাই মনে হয় ভালো ছিল, তাদের মতে।এ সময় বিরোধীদের ভোট বানচালের চেষ্টায় জনগণ পাশে না থাকায় ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করলেও, সরকার কোনো বাধা দেয়নি। হরতাল-অবরোধ করেছে ভোট ঠেকাতে, কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তারা নিজেদের মত দিয়েছেন।, এ জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।এরআগে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। শাহবাগ-টিএসসি মোড় ঘুরে দেখা যায়, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অনেকে জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে আসছেন। অনেকে আবার নৌকার ক্যাপ মাথা দিয়ে বিভিন্ন সাজে সেজেছেন। সমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700801, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ আজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর আগে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্যদের গেজেট নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেছে। গেজেট প্রকাশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ জানুয়ারি। তিনি বলেন, এ দুটো বাদে বাকি ২৯৮টি আসনের নির্বাচনী ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে। যাচাই বাছাই করা হয়েছে। সব ঠিক আছে। নির্বাচন কমিশন দেখেছে, সব ঠিক আছে। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হবে। সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করবেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের পরই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700807, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিতে সংসদ ভবনে ঢুকছেন নবনির্বাচিত এমপিরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার জন্য সংসদ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করছেন। সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকছেন তারা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে ভিড় করে আছেন নেতাকর্মীরা। মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্যদের গেজেট নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেছে। গেজেট প্রকাশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ জানুয়ারি। তিনি আরো বলেন, এ দুটো বাদে বাকি ২৯৮টি আসনের নির্বাচনী ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে। যাচাই বাছাই করা হয়েছে। সব ঠিক আছে। নির্বাচন কমিশন দেখেছে, সব ঠিক আছে। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হবে। সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করবেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের পরই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700832, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, প্রথমবার এমপি প্রথম বাবা হওয়ার মতো অনুভূতি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মৃহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি জাফর আলমকে হারিয়ে নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি)। ইব্রাহিম শপথ নিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রথমবার এমপি হওয়া প্রথমবার পিতা হওয়ার মতো ভালো লাগছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর শুকরিয়া, ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ। প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এমপি হলে ভালোই লাগে। প্রথমবার পিতা হবার মতো।’এসময় সাংবাদিক ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এতো সংক্ষেপে তাড়াহুড়া করে বলার তো প্রয়োজন নেই, পরে (বলব) ইনশাআল্লাহ।”উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। তার প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700809, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন এমপিদের শপথ গ্রহণ," নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চলতি একাদশ সংসদের স্পিকার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করান। এর আগে নিয়মানুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন। পরে স্বতন্ত্র এমপি ৬২ জন ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ১১ এমপিরা শপথ নেন।সংশ্লিষ্টরা জানান, শপথগ্রহণ শেষে সংসদ সদস্যরা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে এরপর সচিবের দপ্তরে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। তারা দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় অংশ নিবেন।জানা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতির জন্য স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবে।নিয়মানুযায়ী, সংসদ নেতা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন স্পিকার। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করবেন। আগামী ২৮ বা ৩০ জানুয়ারি এই অধিবেশন আহ্বান করা হতে পারে। অধিবেশনের শুরুতেই নতুন সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হবে।ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700782, ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিশ্বের সব দেশই নির্বাচনের প্রশংসা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রশংসা করেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। এবারের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন হয়েছে। সব দেশই বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা প্রশ্ন তুলেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটি ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700776, ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জাতিসংঘ ও আওয়ামী লীগের চিন্তার মধ্যে পার্থক্য নেই," জাতিসংঘের কথা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চিন্তাভাবনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বলে মনে করেন ঢাকা-৯ আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মুগদা, সবুজবাগ ও খিলগাঁও থানার নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাহারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, কি ঘটছে অব্যাহতভাবে তা অনুসরণ (ফলো) করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তারা সুশাসনের কথা বলেছেন, মানবাধিকারের কথা বলেছেন। সেটা শুধু জাতিসংঘ কেন, আমাদেরও চোখ রাখার বিষয়। তিনি বলেন, তারা যে কথাগুলো বলছে সেগুলো আমাদের সংবিধানেও আছে। জাতিসংঘ বলছে বলে আমরা নজর দিবো বিষয়টা তা নয়। আমরা চাই সকল ক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো যেন পূরণ হয়। তারা যা বলছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যা চাচ্ছে তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। নির্বাচন পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগেই কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ে যে ইশতেহার আছে, সেখান থেকে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমরা যে কাজগুলো জরুরি মনে করছি সেগুলো সামনের দিকে নিয়ে আসছি। আরেকটি হচ্ছে মানুষ আমাদের যে পরামর্শ দিয়েছে, সেটাকেও প্রাধান্য দিচ্ছি। ভোটাররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। ভোটাররা যাদেরকে নির্বাচিত করেছে এখন তাদের পালা।দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবেন জানতে চাইলে এ জননেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের কয়েকটি দিক আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আমদানির ক্ষেত্রে। আরেকটি হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে বাজার তদারকি বা বাজার ব্যবস্থাপনা। যারা স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি আছে, সংসদ সদস্য এবং কাউন্সিলর আছেন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সেখানে আমাদের ভূমিকা রাখার একটি সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি। কোন জায়গায় সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে তা যদি আমরা সঠিকভাবে মনিটরিং করি তবে সেই জায়গায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অর্থনীতির সূচকগুলোকে কিভাবে উপরের দিকে ওঠানো যায় এ বিষয়ে অবশ্যই সরকার একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। তবে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। সেক্ষেত্রে অফিসিয়াল চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে টাকা ও ডলারের মধ্যে বিনিময় হারের যে পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে। সেটা যেন এমন একটি পর্যায়ে চলে না যায় যেখানে টাকার দুর্বলতার কারণে আমাদের আমদানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আর সেটার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700780, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তারা। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এফবিসিসিআই নেতারা।দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ সময় দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে অবদান রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি জনাব খায়রুল হুদা চপল, জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, মিস শমী কায়সার, জনাব রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), জনাব মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালক ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700785, ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জামিন পেলেন নব-নির্বাচিত এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন," নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের নৌকা প্রতিকের নব-নির্বাচিত এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক আশিকুর রহমান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।সাতক্ষীরা আদালতের পরিদর্শক মেহেদি হাসান জানান, এমপি স্বপন কলারোয়া থানার একটি জিআর মামলার আসামী। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা হয়। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদ মুরাদ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য দলের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় বিপদে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। তার এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির লঙ্ঘন দাবি করে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ করেন জাপা প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মুজিব। পরে ওই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700783, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় শেখ হাসিনাকে ঢাবি ভিসির শুভেচ্ছা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে শেখ হাসিনাকে এই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার নেতৃত্বে সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের নেতৃত্বে নীল দলের কো-কনভেনর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ ও অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম আলাদা আলাদাভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700602, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর নির্বাচিত," নীলফামারী-২ আসনে জয়ী হয়ে টানা ৫ বারের মত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (৭ জানুয়ারী) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনের নৌকা প্রতিকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলী চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ ৪৩টি ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩২ভোট।আওয়ামী লীগ মনোনীতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর টানা ৫ম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বিজয় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700600, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, রংপুর সদরে জয় পেলেন জি এম কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুর-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এরপর ফল ঘোষণা শুরু করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোবাশ্বের হাসান।রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি সব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ফলাফল অনুযায়ী, জি এম কাদের লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।রংপুর-৩ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম)।আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে রংপুর-৩ আসনটিও ছিল।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700601, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বিপুল ভোটে জয়ী শেখ হাসিনা," গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বিপুল ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম নিজাম উদ্দীন লস্কর একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬৯। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। এর আগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700604, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ভালো ভোট হয়েছে: বিদেশি পর্যবেক্ষক," ভোট গ্রহণের পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার পর্যবেক্ষকেরা। তারা বলেছেন, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে কোনো ত্রুটি চোখে পড়েনি। ভোটকেন্দ্রের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, গাম্বিয়া, আরব লীগ, ওআইসিসহ নানা দেশ থেকে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান তারা।পরে বিকেলে ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা পর্যবেক্ষকরা এ বিষয়ে সার্বিকভাবে একমত হয়েছি যে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ এবং সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কে কী বললো সেসব নিয়ে আগ্রহ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। রবিবার নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের সমর্থনই গ্রহণযোগ্যতা। পশ্চিমা বা অন্য কাউকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই : কানাডার পর্যবেক্ষক ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা কানাডার পর্যবেক্ষক চন্দ্রা আর্য। নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে আর্য বলেন, ভোটার কত শতাংশ এলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা এসেছে তারা ঠিকমতো ভোট দিয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই। বাংলাদেশের একটি বড় দল ভোট বয়কট করেছে এবং ভোটদানের হার কম হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এসব নিয়ে কথা বলতে আসিনি। কে ভোটে আসবে আর কে আসবে না তা স্ব স্ব রাজনৈতিক দল ঠিক করবে। ভোটদানের বিষয়ে তিনি বলেন, দুই বছর আগে হওয়া কানাডার প্রাদেশিক ভোটে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখানে ৪০ শতাংশের ওপরে। ভালো নির্বাচন হয়েছে।নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ, উন্মুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার অ্যান্দ্রে ওয়াই শুটব। অ্যান্দ্রে শুটব বলেন, আমি বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। খুব দারুণ নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হয়েছে। ভোটের পরিবেশে নিরাপত্তা ছিল, এটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। কোনো বিষয়ে কোনো তথ্যের অভাব ছিল না। গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ তার নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে জানিয়ে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্বর চাপিয়ে দেয়ার পরিস্থিতি নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, স্বাধীন নীতি গ্রহণ করবে। কেউ চাপিয়ে দিলে হবে না। এছাড়া আমরা দেখছি, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে।ভোট ‘খুব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ হয়েছে : ফিলিস্তিনি পর্যবেক্ষকফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিশাম কুহাইল মত দিয়েছেন, সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমকে কুহাইল বলেন, আমরা যেসব কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি সবগুলোতেই ভোটদানের প্রক্রিয়া খুব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে কুহাইল আরও বলেন, এমন একটি শান্তপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের জনগণের গর্বিত হওয়া উচিত। তবে ভোট কেমন পড়েছে সেই বিষয়ে কুহাইলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, আমরা এখানে এসেছি ভোটদানের প্রক্রিয়া বিচারের জন্য। ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারছেন কি-না এবং পদ্ধতি অনুযায়ী ভোটদান হচ্ছে কি-না সেগুলোই আমরা দেখেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কুহাইল বলেন, দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া বিচারের জন্য আমরা এখানে আসিনি। এটা করতে হলে এখানে আমাকে অন্তত এক মাস অবস্থান করতে হবে। ভোটগ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্টি ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধানের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওআইসির নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে তারা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।তাকে করা নানা প্রশ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে আসা কি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আসার জন্য আপনার ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না? এসব প্রশ্নের জবাব ‘না’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তিন মাস আগে আমি যখন জিম্বাবুয়েতে ছিলাম, তখন আমন্ত্রণপত্র পাই। আমি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে এসেছি, গাজার মতো সেখানে যুদ্ধ চলছে না। আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও প্রতিবেদন জমা দেবো। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়। আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজ যা দেখলাম, এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখলাম। এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি। ভোটে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষকরাযুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দলও বাংলাদেশের ভোট নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। তারা বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেন, সাত আটটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে এতো ভোটারের উপস্থিতি ও ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট এবং ভীষণ আশাবাদী। রাজধানীর বাইরে চল্লিশ থেকে সত্তর শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তারা। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবেন বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের এই পর্যবেক্ষক দল। এর আগে নাইজেরিয়ার পর্যবেক্ষকও ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আরব লীগের পর্যবেক্ষকরাও বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনাকারীরাও ভালোভাবে প্রশিক্ষিত ছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা মূল্যায়ন করতে আসিনি। তারা কোনো ধরনের সহিংসতা লক্ষ করেননি বলেও জানান তিনি।‘ভোটার কম’ একটি ভুল কথা: মার্কিন পর্যবেক্ষক জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক জিম বেটস। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই এটি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। জিম বেটস বলেন, আমি যখন এখানে আসি তখন আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ সবাই বলেছিল, তারা কম ভোটার উপস্থিতির আশঙ্কা করছে। আমি বলেছিলাম, আপনি কেবল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট শেষ করতে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তার নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে এক মাস আগে থেকে ভোট কাস্ট শুরু হয়। তাই যখন আপনার হাতে দিন এবং মাস থাকে তখন ভোটার সংখ্যা বেশি হয়। কিন্তু আপনি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করছেন। তাই আমি ভাবছি কে এখানে খেলছে। কেন তারা ‘সামান্য ভোটার’ শব্দটি দিয়ে গেম খেলছে। তিনি বলেন, যে বিষয়ে কথা বলা হয়ে থাকে, তা হলো কম ভোটার: এটি একটি ভুল কথা। কিছু দেশে ভোট বিকেল ৫/৬ টা পর্যন্ত এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলে। সুতরাং যখন বলা হয় কম ভোটদান, তখন এটি আসলে গণমাধ্যমকে আলোড়ন তৈরি করার জন্য কিছু একটা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700603, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বরিশাল সদরে জাহিদ ফারুক জিতেছেন," রিশাল-৫ সদর আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। রবিবার দিনভর ভোট শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এই আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।ফলাফল অনুযায়ী, ১৭৬টি কেন্দ্রে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রিপন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।জাহিদ ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৬২ হাজার ৩৩৬ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700882, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বাগত জানালো জাপান," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান। বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সচিব কোবায়শিমাকি এক বিবৃতিতে বলেন, কিছু অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও সার্বিকভাবে নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ হওয়াকে জাপান স্বাগত জানিয়েছে। কোবায়শি মাকি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে জাপান পর্যবেক্ষক মিশন পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে ওই মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছিলেন। এর পাশাপাশি বাইরের একজন বিশেষজ্ঞ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সচিব বলেন, আমাদের মিশন যতটা পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে তাতে দেখা গেছে, প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় আমরা দুঃখিত। জাপানের প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত মিত্র হিসেবে জাপান আশা করে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আরো উন্নতির প্রচেষ্টায় অগ্রগতি সাধন করবে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700857, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪,মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য প্রস্তুত অর্ধশত গাড়ি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ইতোমধ্যেই শপথ গ্রহণ করেছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের বহনে ইতোমধ্যে ৫০টি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর।বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী— এসব গাড়ি প্রস্তুত রেখেছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। এসব গাড়িগুলো ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের কর্মকর্তারা দেখে গেছেন। শিগগিরই এসব গাড়ি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ৫০টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা মানে ৫০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। মন্ত্রিসভার যতজন সদস্য করা হবে, তার থেকে বেশি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়। অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী গাড়ি নিলেও কেউ-কেউ নেন না। অন্যদিকে আগের চারবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাই দায়িত্ব নেবেন বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে মন্ত্রিসভায় কারা-কারা স্থান পাচ্ছেন, তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে।আ. লীগ ও সরকারের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার ‘ক্লিন ইমেজধারী’ ও অভিজ্ঞ সদস্যরা নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। আর নতুন করে যুক্ত হবেন দলের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700832, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪,প্রথমবার এমপি প্রথম বাবা হওয়ার মতো অনুভূতি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মৃহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি জাফর আলমকে হারিয়ে নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি)। ইব্রাহিম শপথ নিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রথমবার এমপি হওয়া প্রথমবার পিতা হওয়ার মতো ভালো লাগছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর শুকরিয়া, ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ। প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এমপি হলে ভালোই লাগে। প্রথমবার পিতা হবার মতো।’এসময় সাংবাদিক ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এতো সংক্ষেপে তাড়াহুড়া করে বলার তো প্রয়োজন নেই, পরে (বলব) ইনশাআল্লাহ।”উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। তার প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700834, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪,শপথ নিলেন জাপার সংসদ সদস্যরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিজয়ী ১১ জন সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সংসদ ভবনের নিচতলার শপথকক্ষে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্যের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নতুন এমপিরা একসঙ্গে সমস্বরে স্পিকারের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন।পরে তাদের শপথের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাংসদদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর নবাগত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন। পরে সোয়া ১১টায় শপথ নেনে স্বতন্ত্র এমপিরা।উল্লেখ্য, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে ময়মনসিংহের একটি আসন স্থগিত রেখে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা-৪ আসনের ফল হাইকোর্ট স্থগিত করলেও সেই আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আটকে যায়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700871, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির," দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তিনি।বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়ে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700868, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪,"বিএনপি ভোট ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ করেছে, কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি"," বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করলেও, সরকার কোনো বাধা দেয়নি। তারা ভোট ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ করেছে, কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আর আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাকে অকার্যকর করতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়। এরপর বিকৃত ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে মানুষের মানসিকতা। আমাদের ক্ষমতায় আসা অনেক কঠিন ছিলো। মজার বিষয় হলো, স্বৈরশাসকরা ভোট চুরি করতো। তখন সেই ভোট নিয়ে কোনো কথা হতো না। আর আমরা যখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি, তখন নির্বাচন-গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!দেশের কিছু মানুষের জন্য আজ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব সুনাম করে বাংলাদেশের। কিন্তু দেশেরই কিছু মানুষ ভাবে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসাই মনে হয় ভালো ছিল, তাদের মতে।এ সময় বিরোধীদের ভোট বানচালের চেষ্টায় জনগণ পাশে না থাকায় ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ করলেও, সরকার কোনো বাধা দেয়নি। হরতাল-অবরোধ করেছে ভোট ঠেকাতে, কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তারা নিজেদের মত দিয়েছেন।, এ জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।এরআগে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। শাহবাগ-টিএসসি মোড় ঘুরে দেখা যায়, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অনেকে জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে আসছেন। অনেকে আবার নৌকার ক্যাপ মাথা দিয়ে বিভিন্ন সাজে সেজেছেন। সমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700492, ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট দিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী," সারাদেশে রবিবার (৭ জানুয়ারি) একযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন, সকাল ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে। ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। বাইরের পরিবেশের পাশাপাশি ভিতরে পরিবেশও ভালো। ভিতরে তিনজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আছেন। বেলা বাড়ার পাশাপাশি হয়তো এজেন্ট আরো বাড়বে। জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই এ বিষয়ে বলা যাবে না। ভোট শেষ হোক।এদিকে, সাবের হোসেন চৌধুরীর পরপরই সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও স্কুল এন্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন সাবের হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী রেহানা চৌধুরী এবং হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন সাবের হোসেন চৌধুরীর মেয়ে রাইমা চৌধুরী। রেহানা চৌধুরী ভোট দিয়ে বলেন, আমার কাছে বাইরের পরিবেশটা দেখে মনে হয়েছে, উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল হতে না হতে এখানে বেশ কিছু ভোটারের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে।উল্লেখ্য, সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/700484, ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, র‍্যাবের অঙ্গীকার নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার," 'র‍্যাবের অঙ্গীকার নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তায় প্রতিটি ব্যাটেলিয়ন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।র‍্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যারা নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা করবে, মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করবে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করবে, তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।তিনি আরো বলেন, আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে সুষ্ঠু ও নিরাপদে যাতে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে যেতে পারে। নিশ্চিন্তে যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে র‍্যাব। আমরা প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে, রিটার্নিং অফিসার সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচনের কাজ করে যাচ্ছি।কমান্ডার মঈন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় যে শক্তি র‍্যাব ইন্টেলিজেন্ট সদস্যরা কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই নাশকতার চেষ্টা করছে নির্বাচনে যারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে বাধা দান করা বা নাশকতা সহিংসতার মত বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। যার প্রেক্ষিতে অনেকেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি। কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আমরা বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে আমরা যেখানেই তথ্য পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে এবং নাশকতা কারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে যেন সম্মানিত ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সেজন্য র‍্যাব ফোর্সেস অঙ্গীকারবদ্ধ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700459, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪," ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছাত্রলীগ, ৭ জানুয়ারিও সক্রিয় থাকবে"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট চাইতে ও ভোটদানে উৎসাহিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে সমন্বয়ক কমিটি করে ৩০০ আসনে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছে সংগঠনটি। এতে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছে ছাত্রলীগ।জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট যুদ্ধে নৌকাকে পুনরায় বিজয়ী করতে এবং টানা চতুর্থ বারের মত শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে করতে সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। গিয়েছেন পাড়ায় মহল্লায়, সর্বস্তরের ভোটারের কাছে চেয়েছেন ভোট এবং ভোটদানে উৎসাহিত করেছেন। সেই সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।সংগঠন সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদসহ বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় আট লক্ষাধিক নেতাকর্মী সরাসরি নৌকার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। দেশের ৬৪ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আকৃষ্ট চালিয়েছেন প্রচারণা কার্যক্রম। করা হয়েছে বিভাগীয় ও জেলাগুলোর সমন্বয়ক টিমও। সমন্বয়ক টিমের সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ, নৌকার পক্ষে মিছিল-সমাবেশ ও ক্যাম্পেইন করেছেন। ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনেও সহিসংতা প্রতিরোধ ও ভোটদান সুষ্ঠু করতে মাঠে সক্রিয় থাকবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান তানভীর নাসিফ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে দায়িত্ব দিয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে যে উন্নয়নের গণজোয়ারে দেশকে ভাসিয়েছেন তা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে আমরা নৌকার উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনে যেকোনো ধরনের সহিসংতা প্রতিরোধ ও ভোট সুষ্ঠু করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা মাঠে তৎপর থাকবো। কেউ ভোটদানে বাধা প্রদান করলে সাথে সাথে দাঁত-ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আগেও আমরা মাঠে ছিলাম, এখনও আছি, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। ইনশাআল্লাহ, আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট যুদ্ধে দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে আবারও দেশরত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জয়ী হবেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700456, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের দিন বিনা কারণে কোথাও না যাওয়ার আহ্বান," রাত পোহালেই (৭ জানুয়ারি) শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট যজ্ঞ। এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ও দেশবাসীকে এদিন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোথাও না যেতে আহ্বান জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এ আহ্বান করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ।শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় করেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) এম খুরশীদ হোসেন। এ সময় তিনি দেশবাসীকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থানের আহ্বানও জানান। এম খুরশীদ হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে তাকে নাশকতাকারী হিসেবে আমরা সনাক্ত করবো না। তবে জানতে চাইবো, আমরা তাকে ওয়াচ করবো। আপনি কেন এসেছেন, কি প্রয়োজন আপনার। আপনি অন্য কোনো কাজে ইনভলভ আছেন কিনা। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া কেউ কোথাও যাবেন না। নিজ নিজ এলাকায় থাকবেন।শুক্রবার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতা ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল থেকে বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হরতাল কর্মসূচি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারবে? প্রশ্ন করা হয় তাকে। উত্তরে র‌্যাব ডিজি বলেন, নাশকতার ব্যাপারে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল- এ ধরনের নাশকতা ঘটনা ঘটতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ভোট যারা বয়কট করেছেন বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপির কথা আমরা জানি। আমরা শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) তিনজনকে পিকআপ করেছি। তাদের কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে ২৮টি, ককটেল পাওয়া গেছে ৩০টি। তাদেরকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।র‍্যাব মহাপরিচালক আরো বলেন, যেকোনো ঘটনা যখন ঘটে আমরা অবশ্যই তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। কারণ, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনা আন্ডার ইনভেস্টিগেশন। তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই আপনাদের জানাবো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এমন কোনো থ্রেট বা হুমকি তৈরি হয়নি, এমন কোনো আশঙ্কা নেই যে মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবে না। শুধু র‍্যাব ফোর্সেস না সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700482, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট উৎসব দেখতে মুখিয়ে বিদেশিরা," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশিদের বহু ‘কিন্তু’ ছিলো। অথচ রাত পোহালে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোট। এ কর্মযজ্ঞ দেখতে ইতোমধ্যেই দেশে এসেছেন ২০২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক। তারা বাংলাদেশে আসার জন্য নিবন্ধন করলেও পৌঁছেছেন ১০৯ জন। এদের মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষক রয়েছেন ৭৭ জন (নিবন্ধন করেছিলেন ১২৬ জন) এবং ৩২ জন বিদেশি পত্রিকার সাংবাদিক (নিবন্ধন করেছিলেন ৭৬ জন)। এই সাংবাদিকরা বিশ্বের নামীদামী গণমাধ্যমে কর্মরত। রবিবারের (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ কতটা প্রাণবন্ত উৎসবমুখর হয় তা দেখতে তারা মুখিয়ে আছেন।রবিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সারাদিন বিভিন্ন কেন্দ্রে তারা কেমন ভোট দেখলেন তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএনপি এই ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭১ দিনে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করে ও ৩০৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। এরমধ্যে ৩০৪টি যানবাহন ও ২৪টি স্থাপনা পুড়ানো হয়। তবে ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ১৩৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুই জনসহ আহত হয়েছে ৫ জন। এমন নাশকতা উপেক্ষা করেই রবিবার ভোট হবে।কূটনীতিকরা বলেছেন, বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে যেভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে এবং চলমান ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থানে আছে তাতে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি বিদেশিদের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে।পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচনের প্রতি সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের যে প্রত্যাশা করেছে সেটাও আমরাও করি। একাধিকবার আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। আশা করি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা ৩ সদস্যের একটি দলের প্রধান আন্দ্রে সুটভ বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করা বাংলাদেশের দায়িত্ব। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমন ভুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্স বার্তায় বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে চারদিকে দমনমূলক কর্মকাণ্ড থাকায় আমি বিরক্ত। নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।নির্বাচনের আগে গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারিয়া মাসদুপুই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্স বার্তায় বলেন, অনাকাঙ্খিতভাবে সহিংসতা আগেই শুরু হয়েছে। সর্বত্রই নাশকতা বিরাজ করছে।ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি বন্ধুদের আগ্রহ রয়েছে। বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর এই আগ্রহের পেছনে তাদের নিজেদের স্বার্থ কাজ করছে। এই নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো গত দুই বছর ধরে কমবেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন না হলে দেশটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে দুইবার ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যকে সমর্থন করতে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) (‘থ্রিসি’) এর অধীনে বাংলাদেশের ওপর গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে জানায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত নভেম্বরে পশ্চিমের এই দেশটি নির্বাচনের আগে সবগুলো রাজনৈতিকদলের মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানায়। সর্বশেষ বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে নতুন স্মারকপত্র প্রকাশের পর গত নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের কথা উল্লেখ করেন।নির্বাচনের আগে ভ্রমণ সতর্কতায় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সেদিন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত হবে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন যদিও শান্তিপূর্ণ হবে বলেই আয়োজন করা হয়েছে। তবে তা সহিংসতায় রূপও নিতে পারে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন বা পরের দিন বা সপ্তাহগুলোতে সামান্য বা কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়ে বিদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিশ্বাস করে। যারা এক্ষেত্রে বাধা দেবে তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করবে। আমরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছি না। আমরা জানি না, কারা আগুন দিচ্ছে, মানুষকে হত্যা করছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছি। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই।এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর বাংলাদেশের ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তাছাড়া এশিয়ার বৃহৎ দুই পরা শক্তি চীন ও ভারত এই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সবসময়েই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি, দেশটির নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। কূটনীতিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিং শেষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ইস্যুতে বলেন, আমি মনে করি এটা সফল ও নির্ঝঞ্ঝাট নির্বাচন হবে। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও মাইলফলক হবে।একই ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার বলেন, শুরু থেকে আমার অনুধাবন যে তারা (নির্বাচন কমিশন) খুবই এবং সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, তারা বেশ গুরুত্ব সহকারে কঠোর পরিশ্রম করছেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700279, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নারায়ণগঞ্জের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভায় পৌঁছান তিনি। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে দুপুরের মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় ভরে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়। আশপাশের এলাকায়ও হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। নানান রঙের ব্যানার ও ফেস্টুনসহ রঙিন পোশাক পরে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জনসভা শুরুর আগে বলেন, দীর্ঘদিন পর নেত্রী নারায়ণগঞ্জ শহরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। নেত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা অনেক বেশি আনন্দিত, অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত।সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701321, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, গণতন্ত্র ও সুশাসনের বাংলাদেশ গড়তে এবি পার্টির গণশপথ," গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসনভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে এক ‘গণশপথ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরের বিজয়-৭১ চত্বরে এ গণশপথ অনুষ্ঠিত হয়।গণশপথ অনুষ্ঠানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদকে ফাইভ পার্সেন্ট সংসদ’ এবং বর্তমান মন্ত্রিসভাকে ‘ডামি মন্ত্রিসভার শপথ’ বলে উল্লেখ করা হয়। এসময় এবি পার্টির পক্ষ থেকে নতুন শপথে বলীয়ান হয়ে দেশবাসীকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে এক পরিবারের রাজ্যে’ পরিণত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও বিভিন্ন দলের নেতারা যৌথভাবে গণশপথ পাঠ করান। নির্বাচন বর্জনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও এবি পার্টির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ এই গণশপথে অংশ নেন। শপথ বাক্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নীতি রক্ষায় চেষ্টা ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা করানো হয়। পাশাপাশি যারা গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে ভোটাধিকার হরণকারী, দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়ে দেশকে ‘লুটপাটের স্বর্গরাজ্য’ বানিয়েছে, জনগণের অধিকার পদদলিত করে ফাইভ পার্সেন্ট’ একদলীয় সরকার কায়েম করে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার প্রতারণামূলক শপথ নিয়েছে, তাদের প্রত্যাখ্যানের শপথ করা হয়।এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় গণশপথ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান, জাগপার সহ সভাপতি ও ১২ দলের সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হক ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701251, ভোরের কাগজ,১৫ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশে শান্তি আছে," তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই দেশে শান্তি বিরাজ করছে, সমৃদ্ধি ঘটছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ১৭ আসনের কালাচাঁদপুর সরকারি হাইস্কুল এবং কলেজ মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বের জায়গায় জায়গায় অশান্তি, যুদ্ধ-বিগ্রহের চিত্র আমরা টেলিভিশনে দেখি, খবরের পাতায় পড়ি। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শান্তি আছে, দেশ এগিয়ে চলেছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।'একইসঙ্গে সতর্কবার্তা দিয়ে অধ্যাপক আরাফাত বলেন, 'মানুষের শান্তি বিনষ্টের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এমন কি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্মমভাবে নারী-শিশুসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদেরকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।''সন্ত্রাসীদের দেখানো ভয়-ভীতিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়নি, শীতের সকালে ভোট দিতে গেছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা জরিপ করে দেখেছি, যে কোনো নির্বাচনী এলাকার ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার এলাকায় থাকেন না। অর্থাৎ বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে হিসাব করলে সারাদেশে গড়ে ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে।'এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানান ও সুচারু দায়িত্বপালনে তাদের আশীর্বাদ কামনা করেন।ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701457, ভোরের কাগজ,১৮ জানুয়ারি ২০২৪, জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করলো জাপা," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের) বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন করেছে তার দল। এছাড়া দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতা ও মহাসচিব মজিবুল চুন্নুকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় উপনেতার দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন জাপা মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু। জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সভা হয়।সভায় দলের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সভায় এ মনোনয়নের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে। নতুন সংসদে বিরোধী দলের আসনে কে বসবেন তা নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশার মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে নেতা, উপনেতা ও চিফ হুইপ নির্বাচন করা হয়। এখন বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701422, ভোরের কাগজ,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপির সঙ্গে ইইউর ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের বৈঠক," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য ঢাকায় আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের ইলেকশন এক্সপার্ট টিম বৈঠক করেছে বিএনপির সঙ্গে।আজ ববুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভার্চূয়াল বিকাল ৫টা শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট শেষ হয়। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। নজরুল ইসলাম খানসহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও বিএনপি মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট কেন্দ্রের নানা চিত্র, নির্বাচনের পরে সরকার পক্ষের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ ও ভোটের নানা অনিয়মের চিত্র প্রমাণসহ তুলে ধরা হয়।জানতে চাইলে বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ভোরের কাগজকে বলেন, নির্বাচনে যা ঘটেছে সেই সত্যিটাই আমরা তুলে ধরেছি। কোন প্রেক্ষাপটে দেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সেটার রিয়েল চিত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষক টিমের জানা প্রয়োজন। বৈঠকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট)এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট) উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছায় ইইউর চার সদস্যের এই নির্বাচনি এক্সপার্ট টিম।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701389, ভোরের কাগজ,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে," জনগণের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।তিনি বলেছেন, বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। আর এ নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ার ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও নতুন এ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এ রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকে অনেক কথাই বলবে।তিনি বলেন, বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেলো? জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। নির্বাচন বর্জনও করেছে। ভালো নির্বাচন হয়েছে বলেই এখন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশংসা আসছে। বিএনপিই শুধু এই নির্বাচন গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখনো বলছে সংসদ অবৈধ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701633, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, বিরোধী দল হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সিগন্যাল পাইনি," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিরোধী দল হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সিগন্যাল পাইনি। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই জানতে পারিনি। তবে আশা করছি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই স্পিকারের কাছ থেকে আমরা একটা মতামত হয়তো পাব। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনের ব্যক্তিগত সফরে শনিবার রংপুর এসে প্রথমে পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন জিএম কাদের। পরে স্কাই ভিউতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিরোধী দলে থাকা প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা গত সংসদে প্রধান বিরোধী দল ছিলাম। দেশ ও জাতির কল্যাণে সব সময় আমরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা এবং আমাদের সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতি ও জনগণের পক্ষে যেসব দাবি উত্থাপন করার কথা সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। এখনো আমরা সেই রাজনীতি করছি। জিএম কাদের আরো বলেন, বর্তমান সংসদে প্রধান দুটি দলের মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ। নৌকা মার্কা নিয়ে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দল হিসেবে সরকার গঠন করেছে। তারপরই লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির আমরা ১১ জন সংসদ সদস্য আলাদা আরেকটি রাজনৈতিক দল। আর যারা রয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের সহমতের আওতার ভেতরে। সেই কারণে আমরা মনে করি সরকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার যদি জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে অবস্থান নাও দেয় তারপরও দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব থাকবে সরকারের সমালোচনা করা। জনগণের চোখে সরকারের যেসব ভুল-ত্রুটি ধরা পড়ছে সেগুলোকে সংসদে তুলে ধরা এবং সেগুলো সম্পর্কে সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে চালনা করা। কাজেই যেকোনো পর্যায়েই আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব। এই মুহূর্তে এটা বেশি জরুরি।জিএম কাদের বলেন, বিরোধী দলের নেতা বা অন্যকিছু পদ-পদবি নির্ধারণ করা স্পিকারের আওতাধীন। যদিও আমরা জানি সার্বিকভাবে এটা (বিরোধী দল) জাতীয় পার্টির পাওয়ার কথা। আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল থেকে আমাকে বিরোধী দলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা এবং চিফ হুইপ হিসেবে মজিবুল হক চুন্নুর নাম আমরা প্রস্তাব করে একটা রেজুলেশন নিয়েছি। সেটা আমরা মাননীয় স্পিকারের কাছে পত্র মারফত পেশ করেছি।নির্বাচনের পর ঢাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে দল ভাঙছে আবার নতুন দলও হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকার থেকে সরে আসার পর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। সেটাকে বিভিন্নভাবে নষ্ট করার জন্য তার প্রতিপক্ষরা চেষ্টা করেছিল। অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার হয়েছে, সেগুলো পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তবে এখন ভাঙনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেই সম্ভাবনা দেখছি না।এ সময় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাফিউর রহমান শাফি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ মাসুদ নবী মুন্না উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701715, ভোরের কাগজ,২১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান আন্তর্জাতিক মহল এখন সন্তুষ্ট," নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে সন্দিহানে থাকা আন্তর্জাতিক মহল এখন সন্তুষ্ট। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। নির্বাচনে না এসে বিএনপি ভুল ও দেশ বিরোধী রাজনীতি করেছে। এবার উৎসবমুখর নির্বাচন হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবার উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাদের সঙ্গে দেশবিরোধী অপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীরা থাকতো। নির্বাচন হতো উত্তেজনাপূর্ণ। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল-যারা নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলো তারাও সন্তুষ্ট হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত, এই নির্বাচন এবং সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এরমধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ভুল রাজনীতি করেছে, দেশবিরোধী রাজনীতি করেছে।প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যে কাজগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলছে তা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শেষ করা মূল চ্যালেঞ্জ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনেক প্রকল্প আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রজেক্ট সেটি হলো মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ। এরকম অসংখ্য প্রকল্প আছে। সেগুলোর শেষ করা আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যতগুলো প্রকল্প আছে সবগুলো শেষ করবো। শেখ হাসিনা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। সেটাও আমরা সম্পন্ন করতে চাই। বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে নদী নালা খাল বিলের উন্নয়ন করবো। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন-‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।’ আমরা কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ নজর দেবো। মন্ত্রণালয়কে সামনে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যে অনুপ্রেরণা, যে সাহস দরকার সেটা নেয়ার জন্য টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে এসেছি। প্রতিমন্ত্রী পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ায় অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বিকালে প্রতিমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অতিরিক্ত সচিব এম মতিউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701711, ভোরের কাগজ,২১ জানুয়ারি ২০২৪, নয়টি পৌরসভায় ভোট ৯ মার্চ: ইসি," দেশের নয়টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ। রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি জানান, আগামী ৯ মার্চ দেশের নয়টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নয় পৌরসভায় ভোট করতে কমিশন ফাইল অনুমোদন করেছে। এসব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেইগুলো হলো- জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা, পটুয়াখালী পৌরসভা, রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভা, সাতক্ষীরা পৌরসভা, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর পৌরসভা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701555, ভোরের কাগজ,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আরো ৮ দেশ," শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, মিশর, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এক অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পর আবারো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ""আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে।"" পৃথক বার্তায়, মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করায় শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন ""এই উচ্চ পদে আপনার পুনঃনির্বাচিত হওয়া আপনার দেশের জন্য আরও অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত করে।"" আবদেল ফাত্তাহ বলেন, মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণের জন্য আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার অভিনন্দন পত্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদে তার নেতৃত্ব দেয়ার প্রশংসা করেছেন যার নজির হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। তিনি শেখ হাসিনার পঞ্চম মেয়াদে বন্ধুত্বপ্রতীম দেশটির জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য কামনা করেন।লুলা দা সিলভা আশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সবসময় ব্রাজিলের অবিচল অংশীদার হয়ে থাকবে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ দুটি দেশ এ সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করে যাবে। ২০২৩ সালটি ছিল দুটি দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন যেখানে তাদের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার এবং উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণের বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মত সময়ে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান। পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের ভাইস-প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক কর্মসূচি বিষয়ক মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের আরও কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি লেখেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে শপথ গ্রহন করায় মালয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।"" তিনি আরো বলেন, ""প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আপনার মেয়াদে, আপনি এক দশকেরও বেশি শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার দেশকে অসাধারণভাবে পরিচালনা করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সাফল্যের নজির হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।"" ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701638, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফুলেল শুভেচ্ছা," আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরকে টানা তৃতীয় বারের মতো সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় এই ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শিহাব উদ্দিন শাহিন। এ সময় নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস জাহের, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছেরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ওবায়দুল কাদেরের কাছে নির্বাচন পরবর্তী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701630, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদরা।শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'গণতন্ত্রের বিজয়' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবি সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।ইআরডিএফবি সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান।প্রধান অতিথি অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ৭ জানুয়ারির ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নতুন করে গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচন খুবই সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এদেশের মানুষ এই রকম নির্বাচনই দেখতে চেয়েছিলেন। বিরোধী দলের সহিংসমূলক কর্মকাণ্ডে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কিছু মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাননি বলে কিছু ভোট কেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।ইআরডিএফবি সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তিগুলোর সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটাররা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে।তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের এই তরুণ সমাজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701673, ভোরের কাগজ,২১ জানুয়ারি ২০২৪,দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার," নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। গত বছরের তুলনায় দেশে মোট ভোটার বেড়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন।রবিবার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর।ইসি জানায়, হালনাগাদকৃত তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। খসড়া তালিকা অনুযায়ী পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হয়েছেন ৯২৪ জন।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701684, ভোরের কাগজ,২১ জানুয়ারি ২০২৪, হালনাগাদে যুক্ত হল আরও ২০ লাখ নতুন ভোটার," নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ভোট দেয়ার জন্য যোগ্য হয়েছেন, তাদের তথ্য হালনাগাদ করে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই হালনাগাদে যুক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার নতুন নাম। আর এদেরকে নিয়ে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ১৭ লাখের বেশি।রবিবার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটার তালিকা হালনাগাদের এ তথ্য প্রকাশ করেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখের বেশি। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থাকায় এবার হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে দেয়া হয়।হালনাগাদের এই খসড়া তালিকা স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ২ মার্চ চূড়ান্ত হবে এ খসড়া ভোটার তালিকা।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/701458, ভোরের কাগজ,১৮ জানুয়ারি ২০২৪," কুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জুবায়ের, সম্পাদক সাঈদ"," কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস)’ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবকণ্ঠ ও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাঈদ হাসান। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন শেষে বিকেল ৩টায় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ও ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান।নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন- মোহাম্মদ শাহীন আলম (দৈনিক শেয়ার বিজ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুর রহমান রিজভী (দেশ রুপান্তর), অর্থ সম্পাদক মুরাদুল মুস্তাকিম মুরাদ (বাংলাভিশন অনলাইন), দপ্তর সম্পাদক আবু শামা (দৈনিক কালবেলা), তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ মাসাবিহ (দৈনিক আমার বার্তা), কার্যনির্বাহী রকিবুল হাসান (দৈনিক ভোরের ডাক) এবং হাসান আল মাহমুদ (আমাদের নতুন সময়)।প্রসঙ্গত, এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ৯ম কার্যনির্বাহী কমিটি। আগামী এক বছর নতুন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701527 , ভোরের কাগজ,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন অংশগ্রহণহীন বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনও হয়নি। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪০ শতাংশের উপর ভোট প্রদান দেখা যায় না। কিন্তু আমরা আজ দাবি করতে পারি, আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। বিরোধী অপশক্তি নির্বাচন বানচালের সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়েছে।জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে একটা সর্বগ্রাসী সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। যুদ্ধ তো লেগেই আছে। আমাদের এখানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। অতীতে আমরা এত শীত দেখিনি। মূল সংকট আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পেরিয়ে এসেছি। প্রাকৃতিক যে সংকট, তার ইতি কোথায় আমরা জানি না। আমাদের সকলেরই ধৈর্য ধারণ করা উচিত।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে সামান্যতম কোন অস্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ সময় বিএনপির চুপ থাকা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। তাদের প্রতি নতুন করে আর কোন আমাদের আহ্বান নেই। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটাই চাই।ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সমস্যা নিয়েই এখন শেখ হাসিনা সরকারের সব ভাবনা। ফেলে যাওয়া সংকট নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার সময় আমাদের নেই। দায়িত্বশীল পদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701286, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, রোজার আগেই উপজেলা নির্বাচন: ইসি," আগামী পবিত্র রমজানের আগেই প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। অশোক কুমার দেবনাথ আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ধাপে ধাপে হবে। এই মাসের শেষের দিকে প্রথম ধাপের তফসিল হবে। রোজার পরে আরেকটা তফসিল হবে। এভাবে কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মোট ৪০০টির বেশি উপজেলায় নির্বাচন হবে। তবে কয় ধাপে উপজেলার নির্বাচন হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে, সবশেষ ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরমধ্যে বিভাগওয়ারি ৪টি ধাপে এবং যেসব উপজেলার মেয়াদ পরে পূর্ণ হয়েছিল সেগুলো নিয়ে আরেকটি ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করেছিল কে এম নুরুল হুদা কমিশন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701293, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহে তফসলি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ইসির এই কর্মকর্তা জানান, সংরক্ষিত নারী আসন ছাড়াও প্রায় ৫০০ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১০০ উপজেলায় ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের তফসিলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ভেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে রাখছি। কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হলে তফসিল দেয়া হবে। চলতি সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে তফসিল হলে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের তারিখ রাখা হতে পারে। সংসদে সাধারণ ৩০০ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন। বিদ্যমান আইনে, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। এই নির্বাচনে ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয় বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসন পেয়েছে। ১ জন প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনে ভোট হয়নি। সেখানে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ২জনসহ), জাতীয় পার্টি ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701303, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, এমপিদের শপথ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বাহাস অ্যাটর্নি জেনারেল ও খোকনের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ ও গঠিত মন্ত্রিসভা নিয়ে পাল্টিপাল্টি আইনী অভিমত দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সুপ্রিম কোর্টে তারা এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার খোকন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অসাংবিধানিক হয়েছে বলে অভিমত দেন। অন্যদিকে, সংবিধান অনুযায়ী এমপিদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষের আগেই আবার ৩০০ জন শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথ অসাংবিধানিক হয়েছে। এখন কী তাহলে দেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন? এমন প্রশ্ন রেখে নতুন সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করতে আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।এরপর এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হয়েছে এবং সংবিধান অনুযায়ী এমপিদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। কাজেই একাদশ সংসদ চলমান থাকা অবস্থায় দ্বাদশ সংসদের এমপিদের শপথ অসাংবিধানিক হয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে তা ভ্রান্ত ধারণা। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, এমপিদের শপথটা নিতে হয় আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য। তবে, শপথ নিলেও একাদশ সংসদের মেয়াদ যেহেতু ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে, এর আগে ওনারা সংসদ অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন না।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701164, ভোরের কাগজ,১৪ জানুয়ারি ২০২৪, টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তাজুল," দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম। তিনি রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয় পৌঁছালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল সংবর্ধনা দিয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে আসেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরের দপ্তর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে আস্থায় রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এছাড়াও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প নেয়া হবে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের কর্মপরিকল্পনা দরকার তা করা হবে। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। স্বাগত বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে মো.তাজুল ইসলাম স্যারকে আমাদের মাঝে পেয়েছি। বিগত সময়ের মতো ভবিষ্যতেও তিনি তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিবাদন গ্রহণ করে বলেন, আপনাদের সঙ্গে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে কাজ করলে তা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দিয়েছে এবং জনগণ সেজন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, তাই সে ইশতেহার অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। অতীতের মত সামনের দিনগুলোতেও মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব অধিদপ্তর দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা বলে ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ৫ বছর এই মন্ত্রণালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সম্মৃদ্ধ করেছে, আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এসময় গৃহীত প্রতিটি প্রোজেক্টের কোয়ালিটি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আহবান জানান মন্ত্রী।আজ রবিবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দুপুরের পর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীন সকল দপ্তর প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দপ্তরগুলো পরিচালনে সমবায় সমিতি আইন যুগোপযোগী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সমবায় বিভাগের সকল দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/701216, ভোরের কাগজ,১৫ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে বসছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। স্পিকার সভাপতিত্বে ওই দিন বিকাল তিনটায় এ অধিবেশন শুরু হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।এর আগে ১০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। শপথ নেয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদের বৈঠকের প্রথম দিন নতুন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল এবারো স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে মনোনয়ন দিয়েছে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন।,Positive https://www.bhorerkagoj.com/international/701024, ভোরের কাগজ,১৩ জানুয়ারি ২০২৪,শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল সার্কসহ ৪ সংস্থা," স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক কমিশন, সার্ক এবং ইতালি-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সহযোগিতা সংস্থা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো পৃথক শুভেচ্ছা বার্তায় তারা সকলেই আগামী দিনে তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লোথিয়ান অঞ্চলের স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য এবং সংস্কৃতি, ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ফয়সল চৌধুরী শেখ হাসিনাকে লিখেছেন, “আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পঞ্চম বারের মত এবং টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য আপনাকে এবং আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকেও সাধুবাদ জানাই।ফয়সল চৌধুরী যোগ করেছেন, “গত নভেম্বরে স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ক্রস-পার্টি গ্রুপে আমার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে দলীয় গ্রুপ সফরে সময় দেখা করার জন্য সময় বের করার জন্য আমি আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাতে চাই।” তিনি বলেন, “আমি খুব আশা করি, আমি এবং স্কটিশ পার্লামেন্টের ক্রস-পার্টি গ্রুপের সদস্যরা আবার মহামান্য আপনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।” “আমি আবারো আপনাকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাই এবং নতুন মেয়াদে আপনার সাফল্য কামনা করছি। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের চেয়ারম্যান মিখাইল মায়াসনিকোভিচ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনে আপনার দৃঢ় বিজয় প্রজাতন্ত্রের জনগণের পুরনো সমর্থনের সুস্পষ্ট প্রমাণ।”তিনি ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত সহযোগিতার স্মারকসহ বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক কমিশনের মধ্যে আরো গভীর যোগাযোগের আশা করেন। মিখাইল মায়াসনিকোভিচ শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, মঙ্গল এবং সরকারি কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)। সার্ক মহাসচিব মো. গোলাম সারওয়ার এক অভিনন্দন বার্তায় লিখেছেন, “দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আপনার মহান বিজয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পুনঃনিযুক্তির জন্য মহামান্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি সম্মানিত। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চমবারের জন্য আপনার এই পুনঃনিযুক্তি বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা আপনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের বড় প্রমাণ।” মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গঠনমূলকভাবে অবদান রেখে আসছে।বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত তিনটি ঐতিহাসিক সার্ক শীর্ষ সম্মেলন সার্ক সনদের লক্ষ্য অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। অধিকন্তু, সার্ক কৃষি কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মান সংস্থা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘‘সার্ককে এর সনদের লক্ষ্য অর্জনে আরো শক্তিশালী করার জন্য মহামান্য আপনার এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অব্যাহত দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আমার পরিচায়ক সফরের সময় মহামান্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুখ হয়ে আছি যাতে এই অঞ্চলে আমাদের জনগণের সাধারণ কল্যাণের জন্য সার্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য আপনার প্রজ্ঞা এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপকৃত হতে পারি,” তিনি শেষ করেন।অপর এক চিঠিতে ইতালি-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সহযোগিতা সমিতি পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মার্কো লাকাররা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারিও মরগোনি এবং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার ডমেনিকো পালমিরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে বিজয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘‘আমরা ইতালি এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাব,” এবং “আমরা আপনার এবং আপনার দেশের মঙ্গল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।”",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700964, ভোরের কাগজ,১২ জানুয়ারি ২০২৪,শিক্ষার উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে পথ চলতে চান নতুন শিক্ষামন্ত্রী," সদ্য গঠিত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবো। এজন্য সবাইকে সঙ্গে তিনি পথ চলতে চান। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বনানীর বাসায় তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দশরত্ন শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নতুন সরকার গঠন করার পরে বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব পালনের জন্য নবগঠিত সরকারে তিনি আমাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে এই মন্ত্রণালয়ে পাঁচ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ডা. দীপু মনি, তার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছি সমন্বয় করে। এর ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখবো। আমরা শিক্ষা পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলার পরিকল্পনাগুলো করব। আজকে কোন চ্যালেঞ্জের কথা বলতে চাই না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষায় অনেক বিনিয়োগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন ও বর্তমানেও এর নানা মুখি রূপান্তরের কাজ চলমান আছে বলে নওফেল বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান উন্নয়ন কাজ আমরা এগিয়ে নিতে চাই। আজ চ্যালেঞ্জের কথা নয় তা আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট জনগণ সৃষ্টির পথে আমরা হাঁটছি সেই ট্রান্সফর্মেটিভ কাজগুলোকে এগিয়ে নেয়া হবে। শিক্ষায় অংশীজন যারা আছেন শিক্ষা পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা আছেন, শিক্ষাবিদ যারা রয়েছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা পর্যায়েও যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো নেবো। আমি কি পদক্ষেপ নেব সেটি মুখ্য বিষয় নয় আগামীতে আমরা কি পদক্ষেপ নেবো সেটি মুখ্য বিষয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় রূপান্তরের যে কাজগুলো চলছিলো তা নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে, গুজব রটানো হচ্ছে, দুরভিসন্ধিমূলক কাজগুলো হচ্ছে সেগুলোতে যেন আমরা কান না দেই, বরং সেগুলোকে যেন আমরা প্রতিহত করি। আমরা ধৈর্য ধরে দেখি কীভাবে এই রূপান্তর আমাদের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c2b349691,আমাদের সময়,০২ ডিসেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে: বিএনপি," শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মাত্র একজন ব্যক্তির অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উগ্র লিপ্সার কারণে বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে তাদের লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।’আজ শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লুটেরা চক্র শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে দেউলিয়া করেনি, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতাও বিপন্ন করে দিয়েছে। এই লুটেরা চক্র শুধু বর্তমান প্রজন্মকেই নয় দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকেও ঋণে ডুবিয়েছে। ভবিষৎ প্রজন্মের উজ্জল সম্ভাবনার পথও কঠিন করে দিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘গণঅভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে নৌকা, ডামি আওয়ামী লীগ এবং কতিপয় নাম গোত্রহীন ভূঁইফোড় দলছুট লোকজনকে নিয়ে ডামি নির্বাচন নাটক মঞ্চায়ন করার জন্য জনগণের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনষ্টের হিসাব মাফিয়াচক্রের দোসর সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল গংকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীরাও বলতে শুরু করেছে এই পাতানো প্রতিযোগিতাহীন ভুয়া নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে তারা ঘোরতর সন্দিহান।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এক সভায় বলেছেন, ‘‘আমরা বিশাল ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছি, আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, আমরা এখনো জানিনা সেটা হবে কিনা? একটা অনিশ্চিত অবস্থা।’’ বাস্তবতা হলো- দেশের ১৮ কোটি জনগণ এই নির্বাচন করতে দিবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না।’বাংলাদেশেও স্বৈরাচার কবলিত কম্বোডিয়ার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমস্ত হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে পাতানো ডামি নির্বাচনের সার্কাস করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই নির্বাচনী প্রহসন জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমেছেন শেখ হাসিনা। অচিরেই তার ক্ষমতায় থাকার সাধ চূর্ণ-বিচূর্ণ হবেই। এখন একমাত্র করুণ পতনই শেখ হাসিনার নিয়তি।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কম্বোডিয়ার ৩৮ বছরের একনায়ক হুন সেনের ‘রাজ্যাভিষেক’ মডেলের নির্বাচনের পথে হাঁটছেন বাংলাদেশের একনায়ক শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ায় যেভাবে বছরের পর বছর নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে স্বৈরাচার হুন সেন নিপীড়ন- দুঃশাসন চালিয়েছে, শেখ হাসিনার তার চেয়ে অনেক বেশি অত্যাচার চলাচ্ছেন। কম্বোডিয়ার মতোই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একমাত্র আস্থাভাজন সর্বাধিক জনপ্রিয় বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। আইনের ম্যারপ্যাঁচে ফেলে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে হুন সেন। গত জুলাইয়ের নির্বাচন হয়েছে সেদেশে।’তিনি বলেন, ‘বিশেষ বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে মামলা, হামলা এবং গণগ্রেপ্তার করে বিএনপিসহ ৬০টির বেশি রাজনৈতিক দলকে মাঠ ছাড়া করতে চালানো হচ্ছে অমানুষিক নিপীড়ন। রাজবাড়ীসহ জেলায় জেলায় লাল বাহিনী তৈরি করে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে দণ্ড দিয়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, বিএনপি চাইলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই পাতানো-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা এবং তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশে বিরোধীদলের ওপর জুলুম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরছে। গতকাল জাতিসংঘ পুনরায় বলেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে এক সর্বনাশা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। এর পরিণতি তার জন্য শুভ হবে না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c30bf4588,আমাদের সময়,০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, অবরোধ সমর্থনে রাজধানীতে ইশরাকের নেতৃত্বে মশাল মিছিল," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে নবম দফা সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুরে মশাল মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।আজ রবিবার রাতে মশাল মিছিলটি কমলাপুর স্টেশন থেকে শুরু হয়ে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার হয়ে মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাভেল শিকদার, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি যুবনেতা জাবেদ হোসেন মুন্না, ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব নাহিদ হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4e61daf9,আমাদের সময়,০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, এর থেকে পাতানো নির্বাচন আর হতে পারে না: মান্না," নাগরিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা ‘‘মায়ের ডাক’’র পক্ষ থেকে গুম হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যতই বলুক এবার কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। যেটা হবে সেটা পাতানো নির্বাচন। আওয়ামী লীগ নিজের দলের প্রার্থীদের বলছে স্বতন্ত্র দাঁড়াও, ডামি প্রার্থী দাও এর থেকে পাতানো নির্বাচন আর হতে পারে না।’‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ সামনে রেখে আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল দেশে বিভিন্ন সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। তবে পুলিশের বাধায় শাহবাগে কর্মসূচি সে কর্মসূচি হয়নি। পরে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।সেখানে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকারের আমলে মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে। আজ যেভাবে গুম হত্যা হচ্ছে, আজ শাহবাগে পুলিশ আমাদের ধাক্কা দিয়েছে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। সরকার এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, সরকার এতটাই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যে মায়ের ডাকের মতো একটা অরাজনৈতিক সংগঠনকেও তারা শাহবাগে আন্দোলন করতে দেয়নি। আমরা সরকারের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ার মধ্যে এখন আরেকটা মানবিক বিপর্যয় চলছে এখন বাংলাদেশে। বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষকে গুম, হত্যা করছে। অসংখ্য মায়ের বুক খালি করছে। বাবাকে না পেয়ে ছেলেকে ধরছে, ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে ধরছে। শুধুমাত্র ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতারা এখন জেলখানায়।’ সমাবেশে জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদের) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া আক্তার বলেন, ‘মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে যে মায়েরা এসেছে তাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে, আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয় সেই দাবি জানাতে তাদের কেন পুলিশ ধাক্কা দিল, যারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা পায়। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট জানতে চাই আপনি কি দেশের প্রতিটি জায়গা, মহল্লাকে ভাগ করে ফেলছেন? তাহলে কোন ভাগটা আমাদের জন্য দয়া করে বলবেন কী?’সমাবেশে সমাপনী বক্তা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘মায়ের ডাকের আন্দোলন শুধু আজকের না এরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই সংগ্রাম করে আসছে কারণ। আমরা দেখতে পারছি কীভাবে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের লাশের ওপর দিয়ে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। জনগণের টাকায় যারা বেতন পায় তাদের পর্যন্ত লেলিয়ে দিয়েছে ক্ষমতায় থাকার জন্য। তারা হেলমেট বাহিনী লাঠিয়াল বাহিনী বানিয়ে মানুষকে ঘরে ঘরে গিয়ে অত্যাচার করছে। সেটার কোনো বিচার নাই।’তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিক আন্দোলনে তিনজন শ্রমিক মারা গেছে। তাদের পরিবারের কী অবস্থা তারা কীভাবে দিন পার করছে সেগুলো নিয়ে কোনো কথা নাই। তাদের কোনো বিচার নাই কিন্তু একজন পুলিশ মারা গেছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। বিচার নাই কারণ বর্তমান সরকার জবাদিহিবিহীন সরকার, বিনা ভোটের অবৈধ সরকার। তারা আজকে আবার নতুন করে পাতানো নির্বাচন খেলা খেলছে।’মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ডা. ফয়জুল হাকিম।এর আগে, আজ বেলা ১১টায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে উপস্থিত হন মায়ের ডাকের সংগঠক এবং অংশগ্রহণকারীরা। তবে আগে থেকেই সমাবেশ ঘিরে ছিল পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। পরে পুলিশের বাধায় সেখানে সমাবেশ করতে পারেনি সংগঠনটি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6771fe9a,আমাদের সময়,০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন কমিশনের সামনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি," রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে কথা কাটাকাটির জেরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।সূত্র জানায়, ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য নিয়ে গড়মিল থাকায় কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাইম হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল রিটানিং কর্মকর্তা। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার শুনানিতে অংশ নিতে তিনি নির্বাচন কমিশনে আসেন। নির্বাচন কমিশনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে।ব্যারিস্টার নাঈম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাকে ও আমার সমর্থকদের কটূক্তিমুলক কথা বলায় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়। তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’এসময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক প্লাবন ও সানজিদ নামে দুইজনকে নিজেদের হেফাজতে নেন। তারা দুইজনই কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসানের সমর্থক।এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এনেছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা কাউকে আটক করিনি। বরং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c630444c1,আমাদের সময়,১৩ ডিসেম্বর ২০২৩," যে কারণে ডিএমপিতে বিএনপির প্রতিনিধিদল, জানা গেল"," মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে র‌্যালি করতে চায় বিএনপি। কর্মসূচি পালনের অনুমতি চেয়ে আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বরাবর আবেদন করেছে দলটি।বিকেল ৪টার দিকে ডিএমপির সদর দফতরে যান বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদনপত্র দেন তারা।নেতারা গণমাধ্যমকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর দুপুর একটায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে মগবাজার মোড় পর্যন্ত র‌্যালি করতে চায়।এরআগে হঠাৎ ডিএমপিতে যাওয়ার বিষয়ে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান আমাদের সময়কে বলেন, সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। এছাড়া আগামীতে আন্দোলন মিছিল-মিটিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর একাদশ দফায় দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে।গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এক-দুই দিন পরপর কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e6b5999,আমাদের সময়,১২ ডিসেম্বর ২০২৩, জাতীয় পার্টি নিয়ে যে আশঙ্কার কথা জানালেন ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টি সরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ মঙ্গলবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের দপ্তর বিষয়ক উপকমিটির এক মতবিনিময় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা—এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে।’জি এম কাদেরের সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোট না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বেগম রওশন এরশাদ তার ক্ষোভের কথা জানাতে পারেন এবং তার সঙ্গে যারা নেই তাদের বিরুদ্ধে তিনি বলতে পারেন। কিন্তু দল হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনো জোট থাকবে না বা আমরা ইলেকশন করব না—এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের পার্টিতে বা আমাদের নেত্রীও আমাদের কিছু বলেননি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা এখন শেষ কথা বলতে পারছি না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6c7ff697,আমাদের সময়,১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, টিআইবি বিএনপির শাখা হয়ে গেছে : ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা হচ্ছে, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর গুজবের ডালপালা বিস্তার করা হচ্ছে। মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে।আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির নাশকতা নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই নাশকতার মাত্রা বিএনপি বাড়াবে। খবর পেয়েছি আওয়ামী লীগের নির্বাচন বানচালে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে বিএনপি। নির্বাচনের দিন তারা অস্ত্র ব্যবহার করবে।তাই নির্বাচনের আগে ও পরে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, জনবিছিন্ন হয়ে গেছে বলেই আন্দোলন জমাতে পারেনি বিএনপি।শরিকদের নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘জোটের প্রার্থীদের কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না। আমিও এর বাইরে নই। আমার আসনেও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে।প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বিজয়ী হতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যে কোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে না আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c77315cc1,আমাদের সময়,১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বাম গণতান্ত্রিক জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড," পল্টনে সমাবেশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও করতে যাওয়ার পথে জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে তারা কদম ফোয়ারার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এখান থেকে নির্বাচন কমিশনে যাবো এবং আমাদের কথা বলব। যদিও আমরা জানি, এ সরকার ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোট শেষ করতে চায়। তারা নিজেরাই ঠিকঠাক করে সবকিছু শেষ করতে চায়। এ সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের এখানে আটকে দিয়েছে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গড়ে তোলার সংগ্রাম আমরা করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতেছে। সরকার এমন কিছু আইন করেছে— এখন কোনো কথা বললে জেলে যেতে হতে পারে, গুম করে দিতে পারে। তারা আরেকটি আইন করেছে সেটি হলো— আগামীকাল থেকে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এইটার মানে কী? বাংলাদেশে কি জরুরি আইন জারি হয়েছে? এই আইন অনৈতিক, অন্যায় এবং অসাংবিধানিক। সরকার আমাদের কণ্ঠ বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশে আমরা প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না।’বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চাসহ আজকে নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে আমাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের এখানে বাধা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে পুলিশ হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।’এ বিষয়ে রমনা জোনের শাহবাগ থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আজকে অফিস ডে, সেজন্য যান চলাচলে যাতে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, তাই আমরা ওনাদের বলেছি, আপনাদের যদি কোনও দাবি থাকে, তাহলে সেটি লিখিত আকারে আমাদের দেন। আমরা সেটি সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। পরে তারা এখানে (কদম ফোয়ারা মোড়ে) সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।’গণতান্ত্রিক বাম জোটের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত দাবি দেওয়া হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তারা কোনো লিখিত দাবি আমাদের কাছে পাঠায়নি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c723f752d,আমাদের সময়,১৬ ডিসেম্বর ২০২৩," ‘এই খেলার কী দরকার, ঘোষণা দিলেই হয় অমুক এমপি, তমুক মন্ত্রী’"," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ডামি নির্বাচনের জন্য সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। ঘোষণা করে দিলেই হয় কোন আসনে কে নির্বাচিত হল। এই খেলার কী দরকার? এত লোকের কষ্টের কী দরকার? যে দেশের মানুষ এত কষ্টে আছে, সাধারণ মানুষ দুই বেলা খেতে পারে না সেখানে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নির্বাচন করার কী অর্থ আছে? ঘোষণা করে দিলেই হয় অমুক এমপি, তমুক মন্ত্রী।’বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা শুরু করেছে বিএনপি। আজ শনিবার দুপুর ২টা ২২ মিনিটে শোভাযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।রসিকতার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জনগণ যাকে পছন্দ করবে তারা নির্বাচিত হবে। আমরা সেই নির্বাচন আদায়ের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছে, অনেকে কষ্ট করেছে; এখনো করছে আমরা তাদের রক্তের সঙ্গে, কষ্টের সঙ্গে বেঈমানি করব না। এই লড়াই চলবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন না জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়।’নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বলতে হচ্ছে আমরা আবার গণতন্ত্র হারিয়েছি। গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন চলছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপির যারা সংগ্রামী নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমানুল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতা কারারুদ্ধ। প্রতিদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, দন্ডিত করা হচ্ছে। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব হচ্ছে নির্বাচন নামের একটা খেলা খেলার জন্য।’কোনো বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা এই নির্বাচনের খেলায় যোগ দিয়েছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রধানকে পা ছুয়ে সালাম করে, তার দোয়া নিয়ে নির্বাচনে নামছে। সবাই জানে, পত্র-পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে কারা, কোন দল কয়টা আসন পাবে, কোন নেতা কোন এলাকা থেকে নির্বাচন করবে। এটা কোনো নির্বাচন, ভাবতে পারেন? নির্বাচন হবে প্রতিযোগিদের মধ্যে। এখন সেই ব্যাপার নাই। কারণ জনগণ এই নির্বাচন চায় না। এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। ভোটার আনার জন্য এখন নিজের দলের লোকজনকেই ডামি প্রার্থী বানাচ্ছে। লোকে বলে, একবার নির্বাচন হলো প্রার্থী ছিল না, আরেকবার নির্বাচন হলো রাতের বেলায় ভোট হয়ে গেল আর এবারের নির্বাচন হলো ডামি নির্বাচন।’এর আগে, সমাবেশে অংশ নিতে আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। তারা পোস্টার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে আসেন। সমাবেশের আগে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান করতে দেখা যায়। সমাবেশস্থল ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701057, ভোরের কাগজ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে : রিজভী," ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নিপীড়ক আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে। সরকারের অকথ্য নির্বাচন ও পৈশাচিক অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দি হয়ে এখনও এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে। বিএনপির কারাবন্দি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে।রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ডামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে থেকে নির্বাচনের নামে যেই সংসদের জন্ম দিয়েছেন, আগামীতে দেশে জনগণের ভোটে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠিত হলে জনগণের কাছে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে। এই 'ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত 'ডামি সরকারের এক ডামি মন্ত্রী বলেছেন, 'দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে'। এই কথার জবাবে বলতে চাই, যে দেশে 'ডামি নির্বাচন'র মাধ্যমে 'ডামি সরকার' আর 'ডামি মন্ত্রী' থাকে সেই দেশের অনিষ্ট করতে কোনো ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। জনম্যান্ডেটহীন 'ডামি সরকার'ই যথেষ্ট দেশকে প্রভুদের পদানত ও ধ্বংস করতে।তিনি বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে। মানুষের ভোটের অধিক লুণ্ঠন করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো, দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণই নয় বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এখন বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।রিজভী বলেন, শুক্রবার ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়ে গত ৭ জানুয়ারির 'ডামি নির্বাচন' নিয়ে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের কাছে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতোই অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিক। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি।তিনি বলেন, বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং দেশের প্রায় প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ৭ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেছে। এরপরও নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, ২০১৮ সালের মতো রাতের বেলায়ও ব্যালটে সিল মারার মতো অপকর্মের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের 'ডামি প্রার্থীরা'ই এই অভিযোগ করেছেন। অপ্রিয় হলেও সত্য, ৭ জানুয়ারির ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন নতুন প্রজন্মের সামনে ৭৩ সালের নির্বাচনের জাল জালিয়াতি আর সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, ভোট ডাকাতি মনে হয় আওয়ামী লীগের বংশানুক্রমিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রূক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের দুর্বিষহ উৎপীড়নের সাথেই কেবল সরকারের কারাগারের মিল পাওয়া যায়। আমি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অবশ্যই একদফা দাবিতে সরকারের পতনের পরবর্তী আন্দোলনের ধারা ঠিক করা হচ্ছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন প্রায় বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে তারা জানাবেন। আর আমরা কর্মসূচি ও আন্দোলনের মধ্যে আছি।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কি আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি? আন্দোলনে আমাদের নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন, আবার নতুন কি কর্মসূচি আসবে, ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত এক ধারায় হয়েছে, এখন আমরা কোন ধারায় আন্দোলনে যাবো, আমাদের সঙ্গে আরও দল রয়েছে- তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। কথা বলার পরে একটা কর্মসূচি ঠিক হয়। সেভাবেই আমাদের কর্মসূচি যাচ্ছে।অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আন্দোলনের পরিপূর্ণতায় স্রোত আমরা যত বয়ে দিবো, স্রোতের ধারা যত আসবে ততই আন্দোলন পরিপূর্ণ হবে এবং তারা (সরকার) পরাজিত হবে। আর কখন পরিস্থিতি হবে, সেটা বলা যায় না। শুধু একটা বলা যায়, জনগণের আন্দোলন যদি আদর্শ, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষের হয়, সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না। এটাই হচ্ছে ইতিহাসের রেকর্ড। এখানে জনগণ পরাজিত না। অপশক্তি কিছুদিন বাধা দিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তার স্রোতকে আটকে রাখা যাবে না। কোনো না কোনো দিক থেকে এটা প্রতিহত করে এগোবে।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তামাশার নির্বাচন। এটা কোনো সরকার না। কিসের মহাযাত্রা, কি হবে। ওটা সরকারের মরণযাত্রা তারা (আওয়ামী লীগ) করছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700946, ভোরের কাগজ, ১১ জানুয়ারি ২০২৪, সরকারের কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের মাত্রা আরো বাড়বে," দেশবাসীর ভোটাধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনজীবনের সংকট দূর করতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জোটের এক সভায় বলা হয়, বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও অধিকাংশ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা ভাবে প্রহসনের নির্বাচন করে বছরের শুরুতেই যে ন্যাক্কারজনক অধ্যায় শুরু করলো তা দেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর চরম আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই অবস্থা বহাল থাকলে সরকারের কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের মাত্রা আরো বাড়বে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়িত ধারা, মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার বাড়বে যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। একই সাথে জনসমর্থনহীন সরকারের কারণে বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তি নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিতে সক্রিয় হবে।সভায় বলা হয়, যে ভোট দেশের অধিকাংশ মানুষ বর্জন করেছেন ওই ভোট সম্পর্কে সরকার ও তার তাবেদার নির্বাচন কমিশন দিয়ে যে তথ্য উত্থাপন করেছে তার বিপরীতে হেরে যাওয়া নৌকা মার্কার ও স্বতন্ত্র এবং জাতীয় পার্টি, ১৪ দল ও সরকার সমর্থিত কিংস পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দেয়া যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা শুধু নির্বাচনী প্রহসন নয় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার সংকট উন্মোচিত হয়েছে। ফলে এই আমি-ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের কোন নৈতিক অধিকার কারো নাই বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।বৃহস্পতিবার এ সভা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা জোটের সমন্বয়ক কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল শিকদার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ নেতারা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ।সভায় নিত্য পণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর ও অনিবার্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে অবিলম্বে ভুয়া ভোটে নির্বাচিত ভুয়া সাংসদদের নিয়ে সরকার গঠন না করে পদত্যাগ করে নির্বাচন কালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। উপরোক্ত দাবীতে সকল বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী পেশার গণসংগঠনের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701151, ভোরের কাগজ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, আমাদের মাথা বিক্রি করা টাকার হিসাব দিতে হবে," নির্বাচন এলে আমাদের মাথা বিক্রি করেন, আমাদের মাথা বিক্রি করা টাকা আত্মসাৎ করেন। আর মাথা বিক্রি করবেন না। সংসার, দোকানপাট বিক্রি করে নির্বাচন করেছি, নিঃস্ব হয়ে গেছি। নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হামলার মুখে নির্বাচনী মাঠে ছিলাম। কথা দিয়েও আমাদের একটা টাকা দিলেন না। চেয়ারম্যান-মহাসচিব একটিবার ফোন ধরলেন না। আপনাদের সহযোগিতা তো চাইনি, কিন্তু আমাদের জন্য যে টাকা আসল সেটা কোথায় গেল, আপনাদের জবাব দিতে হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে উদ্দেশ করে এভাবেই তুমুল সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে পরাজিত প্রার্থীরা। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন দলের বিক্ষুব্ধ পরাজিত প্রার্থীরা। বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়ে চলে ২টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।নির্বাচনে ভরাডুবি, দলীয় ও নির্বাচনী ফান্ড কুক্ষিগত করে রাখা, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদেরের আসনের বিনিময়ে সিনিয়র নেতাদের বাদ দেয়া, নির্বাচনে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। দলের পক্ষ থেকে চিঠি ও জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ না নিতে অনুরোধ করা হলেও ঠেকানো যায়নি প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের যোগদান। বেলা ১১টার মধ্যেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সভাস্থল ভরে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৭০ এর বেশি প্রার্থী উপস্থিত হন। সভায় নির্বাচনে দলের এমন ভরাডুবির জন্য জাপা চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও চেয়ারম্যান পত্নীকে দায়ী করেন নেতারা। জিএম কাদের ও চুন্নুকে বাটপার, প্রতারক বলেও গালি দেন পরাজিত প্রার্থীরা।সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, নির্বাচনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। প্রার্থীদের জাপা মহাসচিব টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জানিয়ে সেন্টু বলেন, কিন্তু পরবর্তীতে উনি বললেন, এটা শেরীফা কাদের (জিএম কাদেরের স্ত্রী) দেখবেন। নির্বাচনে সরকার কোনো কৃপণতা করেনি জানিয়ে সেন্টু বলেন, সিট আপনারা বাড়িয়ে নিতে পারেননি, এটা আপনাদের ব্যর্থতা। সেন্টু দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শেরীফা কাদেরের সিট কনফার্ম হয়নি, জিএম কাদের বললেন আমি ভোটে যাব না। যখনই তার স্ত্রীর সিটটা দিয়ে দিয়েছে, সে দৌঁড়ায়ে চলে গেছে। জিএম কাদেরকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এমপি ও সিলেট এর প্রার্থী ইয়াহয়া চৌধুরী বলেন, আপনি গণতন্ত্র শিখিয়েছেন, আপনার মধ্যে গণতন্ত্র নেই। আপনি স্ত্রীর জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কোরবানি দিয়েছেন। আমাদের টাকা আপনারা ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। আপনাদের জবাব দিতে হবে। নোয়াখালীর ফজলে এলাহী সোহাগ বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব, আপনি কোনো ওয়াদা রাখেননি। আপনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে নীতিকথা বলতেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরিবর্তন হয়ে গেছেন। সিরাজগঞ্জের প্রার্থী ফজলুল হক নুরু বলেন, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এনে লাঙল দেয়া হয়। এভাবে আপনারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। সিরাজগঞ্জের মুখতার হোসেন বলেন, রক্ত মাংসে গড়া দোকানপাট বিক্রি করে নির্বাচন করেছি। স্বতন্ত্র ও নৌকার লোকদের হামলার মুখে জীবন যায়, কিন্তু‘ দলের কোনো সহযোগিতা পাইলাম না। আমাদের বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। আমাদের আত্মসাৎ করা টাকার হিসাব দিতে হবে। ভৈরবের নুরুল কাদের সোহেল বলেন, আমরা সব কিছু দিয়ে নির্বাচন করেছি। একটু খবর তো নেয়নি, দশটা টাকা পর্যন্ত দেয়নি। আর কত মাথা বিক্রি করবেন। আর মাথা বিক্রি করবেন না। মুন্সীগঞ্জের আব্দুল হামিদ খান ভাসানি বলেন, চেয়ারম্যান ও মহাসচিব চার আন্ডাবেষ্টিত (ডিম) হয়ে পড়েছেন। এই আন্ডামুক্ত না হলে দল ধ্বংস হয়ে যাবে।সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তর সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক এমপি ইয়াহয়া চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, হাসান ইফতেখার, মিজানুর রহমান মিরু, সাহিন আরা চৌধুরী রিমা, সুজন দে, শাহনাজ পারভিন প্রমুখ। তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-৩ এর আব্দুল বাতেন, সিরাজগঞ্জ-৫ এর ফজলুল হক নুরু, নোয়াখালী-৩ এর ফজলে এলাহী সোহাগ, সিরাজগঞ্জ-৬ এর মুখতার হোসেন, সিরাজগঞ্জ-১ এর জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর-৪ এর শামসুদ্দিন খান, ভৈরবের নুরুল কাদের সোহেল প্রমুখ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701142, ভোরের কাগজ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, সরকারই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে," বিএনপি নয়, সরকারই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাঁকিয়ে আছে। তারা কম্বেডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আশা করছে। রবিবার (১৪ জানুযারি) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া বক্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশীদের ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এটা এখন আমার বক্তব্য নয়, যারা বিএনপি করেন না এই ধরনের বুদ্ধিজীবী-কলামিস্ট-লেখক তারা প্রতিনিয়ত এ কথাগুলো বলছেন।রিজভী বলেন, একদিকের রাষ্ট্রশক্তিকে বানিয়েছেন তিনি আওয়ামী চেতনা লালিত করে, পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে জনগণের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন-কারা নির্যাতন করে যাচ্ছেন। আর পেছনে তাদের রয়েছে একটি বড় শক্তি। এই শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়েই প্রধানমন্ত্রী আহ্লাদিত আওয়ামী সরকার। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আপনারা এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন আপনারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজছেন। ৭ জানুয়ারিতে জনগণ আপনাদেরকে চুড়ান্তভাবে একেবারে মাঠ থেকে বের করানোর জন্য যে লালকার্ড দেয় সেই লাল কার্ড জনগণ আপনাদের দেখিয়েছে। সেই একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি।তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদারসে সিল মারছে। আগে ভোট কেন্দ্রে গরু ছাগলসহ চতুস্পদ প্রাণীরা বিচরণ করলেও এবারের নির্বাচনে নতুন সংযোজন বানর। এই বারনরা বাদরামি করেছে যে, যার নজির অধিকাংশই ভাইরাল হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের পরাজিত দলীয় প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে।এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আমাদের উন্নয়নে অংশীদারী দেশগুলোও তামাশার নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। সহিংসতা ও বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের পর কৃত্রিম আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও ক্ষমতাসীনদের প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ভয় তাড়া করছে’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।‘প্রধানমন্ত্রীর রসিকতা করছেন’রিজভী বলেন, এখন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বসে দেশবাসীর সঙ্গে সস্তা রসিকতা করছেন। উনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন, ফুরফুরে মেজাজী ঢংয়ে পেয়ারা হিন্দুস্থানের হিন্দি গান শোনাচ্ছেন, রবীন্দ্র সংগীত শোনাচ্ছেন। এটা শুনে আমরা হতবাক হয়েছি। কালকে উনি গোপালগঞ্জের মতবিনিময় সভায় আমাদের অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে বলেছেন যে, এক কামরা ম্যা বান্দ চাবি খো গিয়া হ্যা… এটা উদ্ধৃতি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিন্দি গানের প্রতি খুব অনুরাগ… উনার মন তো সবসময় দিল হ্যায় হিন্দুস্থানি …এই হয়ে আছে। সুতরাং দিল হ্যায় হিন্দুস্থানি গানের কলি সব সময় উনার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। তারপরেও উনি একটা রবীন্দ্র সঙ্গীতের কলিও বলেছেন, ভেঙে মোর ঘরের চাবি এটা বাউল সুরের একটি গানের কলি নিঃসন্দেহে একটি ভালো গান এটা অন্য সময়ে শোনার গান।তিনি বলেন, কিন্তু আমরা যে বোধে উদ্ধুদ্ধ হয়ে একটি অন্যায় বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলের অফিস পুলিশ প্রশাসন যেভাবে বন্ধ করে দিয়ে ক্রাইম সিন লাগিয়ে এখানে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো… আপনারা গণমাধ্যমের যারা সাংবাদিকরা রয়েছেন আপনারা জানেন কিভাবে লাল ফিতা দিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিলো। সেটার পর প্রচণ্ড দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে তারা একতরফা নির্বাচন করেছে।এই পরিস্থিতিতে আমরা রবীন্দ্রনাথের ওই গানে উদ্বুদ্ধ হয়েছি বান ভেঙে দাও, বান ভেঙে দাও… এই গানের উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা তালা ভাঙতে এসেছি আর জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কারা ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট... এই দুই মহাকবি, বিখ্যাত কবির গান আমাদেরকে উদ্বুব্ধ করেছে এই স্বৈরাচারি সরকারের তালা ভাঙতে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, খান রবিউল ইসলাম রবি, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700006, ভোরের কাগজ, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক হয়ে গেছে," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক হয়ে গেছে। শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা ছাড়া আর কিছু নেই। ডামি এই নির্বাচন ইতিমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে। ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় মিরপুর ১৩ নম্বর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের আশপাশ এলাকায় কাফরুল থানা বিএনপি উদ্যোগে দ্বাদশ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘জোর করে, জনগণকে ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ নির্বাচন করতে চাইছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। তারা নিজেরা নিজেরা খুন করছে, নাশকতা করছে, মানুষ মারছে, আর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে যারা গণতন্ত্ররে জন্য লড়াই করছে তাদের ওপর।’রিজভী আরো বলেন, ‘তারা জোর করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই অবৈধ সরকার যাতে জোর করে ক্ষমতায় না থাকতে পারে তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আপনাদের শান্তিপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করুন, ভোট দিতে যাবেন না, অবৈধ নির্বাচন মানবেন না।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/700058, ভোরের কাগজ, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও খুনি বিএনপিকে প্রতিরোধ করা হবে ," আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি বলেছেন, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি ও সন্ত্রাসীদের দল বিএনপিকে প্রতিরোধ করা হবে। এ দলের প্রতিষ্ঠাতা পঁচাত্তরের খুনিদের প্রশ্রয়দাতা ছিলেন। একাত্তরের গণহত্যায় জড়িতদের তিনি ক্ষমতার ভাগ দিয়েছিলেন। জেলখানা হত্যাকাণ্ড, একুশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যাচেষ্টা, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে বহু মানুষকে হত্যা করেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। ২০২৪ সালের নির্বাচন বন্ধের নামে গাড়ি ও ট্রেনে আগুন দিয়ে তারা আবারো মানুষ হত্যায় নেমেছে। কাজেই খুন ও হত্যা তাদের পুরনো নেশা। এমন নরহত্যায় যারা আসক্ত তাদের নিকট থেকে জাতি কিছু আশা করতে পারেনা। আওয়ামী লীগ যখন সমগ্র জাতির উন্নয়নের দিকে মনযোগী থাকে বিএনপি তখন বিদেশীদের পদলেহনে ব্যস্ত। বিদেশীদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য চাতক পাখির মতো তারা তাকিয়ে থাকে।সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের নৌকার এমপি প্রার্থী ছোট মনির এমপির নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।শাহজাহান খান আরো বলেন, এমপি ছোট মনির এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। এলাকা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দুর্নীতি বন্ধ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুবই অনুগ্রহভাজন। আপনারা তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এলাকায় আরো উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।এমপি ছোট মনির বলেন, ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ১৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু তিনি এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ না করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। নৌকার জোয়ার দেখে তিনি নানা প্রকার কাল্পনিক অভিযোগ তুলে প্রশাসনকে বিব্রত করছেন। তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে মাঠে কাজ করার অনুরোধ জানান।ধোপাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমেন, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট শামসুল আলম, টাঙ্গাইল বারের সাবেক সভাপতি এবং এমপি ছোট মনিরের পিতা এডভোকেট আব্দুল গফুর, ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। পরে শাহজাহান খান উপজেলার হেমনগরে অপর একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700054, ভোরের কাগজ, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের পর হলফনামা পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য হলফনামায় প্রকাশ হলেও তাদের (প্রার্থীদের) ইমেজের কথা ভেবে ভোটের আগে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে নির্বাচনের পর প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে প্রয়োজনে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এমজিআই-রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। হলফনামা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ৬ দিন বাকী আছে। নির্বাচনটা সম্পন্ন হোক। এখন অনেক তথ্য আছে, কোনো একজনের হয়তো দুই লাখ টাকা ছিল, এখন এক কোটি টাকা হয়ে গেছে। প্রায় ৫০ গুণ অর্থ সম্পদ বেড়েছে। একজন সংসদ সদস্য মাসে কত টাকা ভাতা, বিভিন্ন অ্যালাউন্স পান, সেটা যদি যোগ করি এক কোটি টাকা হতেই পারে। এগুলো ধরে সঙ্গে সঙ্গে যদি অনুসন্ধান শুরু করি তার ইমেজটা কী হবে। তিনি বলেন, সম্পদ যদি বাড়ে এটা তামাদি হয়ে যাবে না। নির্বাচনটা শেষ হোক, সত্য-মিথ্যা যা আছে, এটা প্রমাণ করার সুযোগ তো আছেই।পরে দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকতায় এমজিআই-র‌্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পাওয়া তিনজন সাংবাদিকের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক ও আছিয়া খাতুন এবং দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী বেস্ট রিপোর্টিয়ে পুরস্কার পাওয়া তিনজন হলেন- টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে মাইটিভির মাহবুব সৈকত, প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক বাংলার নুরুজ্জামান লাবু এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টের এফ এম আবদুর রহমান মাসুম।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700525, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচনে নেমেছে আ.লীগ," সরকারদলীয় লোকজন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, জামালপুর-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। বারবার আশ্বস্ত করা হলেও পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরের শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সকাল থেকে আমি তিনটি ঘটনা জেনেছি যে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ভোট স্বাভাবিক হবে না, সেই ধরনের একটা আবহ তৈরি করা হচ্ছে সেইসব জায়গায়। তবে সব জায়গার খবর এখনো পাইনি। আশা করেছিলাম ভোট স্বাভাবিক হবে। কিন্তু রংপুর ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে না। জিএম কাদের বলেন, সব সময় আশঙ্কা ছিল যে নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। হয়ত বোঝা যাবে ভবিষ্যতে। কোরবানি করে নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হবে, এটাই আমরা আশঙ্কা করছিলাম। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কি না বিকেল হলেই বোঝা যাবে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700203, ভোরের কাগজ, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সাধারণ ছুটি নিয়ে বানোয়াট প্রজ্ঞাপন," বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৫-৮ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বানোয়াট বলে জানিয়েছেন সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনটি আমলে না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সোনিয়া হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার (৭ জানুয়ারি) সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।কিন্তু নির্বাচনী ছুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভুয়া প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খালেদ মোহাম্মদ জাকী বুধবার (৩ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি রবিবার সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও (www.mopa.gov.bd) দেয়া হয়েছে।কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৫-৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত একটি বানোয়াট প্রজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত নয় বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনটি আমলে না নেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700510, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, একতরফা নির্বাচনেও আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে," একতরফা নির্বাচনেও আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকে সেই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে কোন ভোটার নেই, এ নির্বাচনে জনগণ যায়নি। এই একতরফা নির্বাচনেও গতকাল তারা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। আতঙ্কে তারা গভীর রাতে সিল মেরে রেখেছে। কারণ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। তিনি বলেন আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। তিনি দেশবাসীকে আজকের হরতাল সফল করার আহবান জানান।নির্বাচন বর্জন ও হরতালের সমর্থনে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুর্মিটোলা বাস-স্ট্যান্ড থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে মিছিল শেষে তিনি এসব অভিযোগ করেন।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুব দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তারিক উজ জামান, কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. শরিফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রশিক্ষণ সম্পাদক এম আর গণি (মোস্তফা), মহিলা দল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু, কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পাঠাগার সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন লিপিসহ বিএনপির অঙ্গ ও সংগঠের নেতাকর্মীরা।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700678 , ভোরের কাগজ, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকে দুদিনের গণসংযোগ," ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার (৯ ও ১০ জানুয়ারি) দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ৭২ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ও সেলিমা রহমান।বিএনপি আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/700578, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি রহিম উল্যাহর," ফেনী ৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ ভোট প্রত্যাখ্যান করে পুণঃ নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন।এর আগে তিনি বিকেল ৩টায় সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ এনে তাকে লাঞ্ছিত করেন।এক পর্যায়ে প্রিসাইডিং অফিসার রহিম উল্লার উপর তেড়ে আসলে রহিমের ভাতিজা শেখ ফরিদ তাকে রক্ষা করে গাড়িতে তুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন । এরপর বিকেলে সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে লাঙ্গলের এজেন্টরা। জাল ভোট দানে তাদের সহযোগিতা করেছে প্রিসাইডিং ও পোলিং এজেন্টরা।উল্লেখ্য, ফেনী-৩ আসনে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট কালেকশন হয়েছে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের পথে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বতর্মান এমপি জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700934, ভোরের কাগজ, ১১ জানুয়ারি ২০২৪,ভুয়া নির্বাচনে সংসদকে কুক্ষিগত করেছে সরকার," ভুয়া নির্বাচনে সরকার সংসদকে কুক্ষিগত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মঈন খান। তিনি বলেছেন, এই সরকার তারা সমস্ত সংসদকে নিজেদের ইচ্ছামতো কুক্ষিগত করে নিয়েছে এই ভুঁয়া প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এবং এটা আজকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।মঈন খান বলেন, আজকে জাতীয় সংসদের তিন’শ সিটের মধ্যে ২৯৯ সিটে কে বিজয়ী, কে জয়ী, কে পরাজিত সেগুলো নির্বাচনে নির্ধারিত হয় নাই…, এগুলো সব নির্ধারিত ঢাকার সর্বোচ্চ একটি টেবিলে সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আগেই নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে কে কত ভোট পাবে, কে কত শতাংশ ভোট পাবে এবং কোন সিট থেকে কে নির্বাচিত হবে। এটা আর এখন আমাদের কথা নয়, দেশে বিদেশে সমস্ত প্রমাণসহ আজকে এটা বিশ্ববাসীর কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে দুঃখজনক, লজ্জাজনক, কলঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে এই যে, মানুষ ভোট চুরি করে গোপনে। এই সরকার ভোট ডাকাতি করেছে প্রকাশ্যে। তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে, সিট ভাগাভাগি করেছে…. কে কোন সিটে নির্বাচিত হবে সেটা নির্ধারণ করেছে প্রকাশ্যে। আজকে এই সরকার কোথায় নেমেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।৫৭ দিন পর সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেইটে তালা চাবি পুলিশ থেকে না পেয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। গত ২৮ অক্টোবর এই কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেয়ার পর পুলিশ কার্যালয়ের নেতা-কর্মীদের বের করে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যায়।বিকেল তিনটায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির ওপর দলের তৈরি সচিত্র তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে কিভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে, কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে, ভোটার বিহীন কেন্দ্রে সরকার দলীয় লোকজন কিভাবে ভোট বাক্সে ব্যালট পেপার ঢুকিয়েছে ইত্যাদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অপতৎপরতা এবং দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত রিপোর্টসমূহ তুলে ধরা হয়।‘কেন্দ্রীয় অফিস বেদখলে ছিলো’আবদুল মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ৫৭ দিন পরে আমাদের নয়া পল্টনের অফিস খোলা হয়েছে। আপনারা জানেন, ২৮ অক্টোবর ক্রাকডাউনের পরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসটি সরকার বেদখল করে নিয়েছিলো। আজকে আমরা এখানে এসেছি জনগণের কথা বলার জন্য। আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য, আমরা রাজনীতি করি জনগণকে নিয়ে এবং আমরা রাজনীতি করি জনগণের মঙ্গলের জন্য।তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আছি। যেভাবে একদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং যেভাবে একদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সেই আদর্শে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আন্দোলনে আছি, রাজপথে আন্দোলনে থাকব। ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে। ফলে আমরা সেই আন্দোলনে আমরা আছি, আমরা জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের অর্থনীতির সাম্যের অধিকার এবং জনগণের গণতন্ত্রের অধিকার আমরা ইনশাল্লাহ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবো এবং ভবিষ্যতে আমরা এমন একটি পরিবেশ বাংলাদেশে সৃষ্টি করব সেখানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়।মঈন খান বলেন, দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এটা প্রমাণিত যে, এই সরকার গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না, সরকার যেটাতে বিশ্বাস করে সেটা হচ্ছে একদলীয় বাকশালী শাসন। আমরা অতীতে বলেছি, এটা হচ্ছে অলিখিত বাকশাল। আজকে নির্বাচনের পরে যা দাঁড়িয়েছে সেটা অলিখিত বাকশাল ওয়ান।আপনারা জানেন অতীতে সরকার একটি গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করেছিলো… এবার তারা চেষ্টা করেছিলো গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করতে গিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া করছিলো যে ২৬টি সিট নাকি তারা দিবে তৃতীয় পার্টি… জাতীয় পার্টি রয়েছে। বাস্তবে আমরা দেখেছি তারা বোধহয় ১১টি সিট পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ নেতারা ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700886, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪," বাদ পড়লেন ১৪ মন্ত্রী, ১২ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী "," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে যাত্রা শুরু হচ্ছে নতুন সরকারের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীপরিষদ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। যারা বাদ পড়লেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. সাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা।এছাড়া দুই জন উপ-মন্ত্রী বাদ গেছেন তারা হলেন- বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700723, ভোরের কাগজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার: রিজভী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা-আর মামুরা মিলে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। একটি দলের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের দিন সকাল ১০টার মধ্যেই ইসি সচিব বলেন, কারা এমপি হবেন তা ঠিক করা আছে। তবুও এই নির্বাচনে তারা নিজেরা মারামারি ও সহিংসতা ঘটিয়েছে। একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে। এভাবে মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার।বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে নির্বাচন বর্জন করায় দেশবাসী ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে ও আশেপাশে ভোট দিতে না যাওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় পথচারী, রিকশাচালক ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান রিজভী। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও প্রহসন আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই দাবিতে মঙ্গলবার এবং বুধবার ২দিন গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম দিনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য এইচএম আবু সাঈদ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা কাজী মনজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700754, ভোরের কাগজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, একতরফা নির্বাচন গণতান্ত্রিক বিশ্বও প্রত্যাখ্যান করেছে," জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহবায়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, বিরোধী দলবিহীন অবৈধ ভোটারবিহীন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে নৌকাকে জয়ী করতে হয়েছে। সরকারের আজ্ঞাবহ ইসি সরকারের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক টিক মার্ক দিয়ে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেছে। একতরফা অবৈধ নির্বাচন শুধু দেশবাসীই নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও প্রত্যাখ্যান করেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডাসহ উন্নত রাষ্ট্রগুলো এই নির্বাচনকে প্রহসনমূলক বলে ইতোমধ্যে বিবৃতিতে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন বর্জন করায় জনগণের কাছে শুভেচ্ছা সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন-বিজয়নগর-পল্টন হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে গিয়ে জোট নেতারা লিফলেট বিতরণ শেষ করেন।তিনি বলেন, মীর জাফরদের স্থান কোথাও নেই। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যেসকল বিশ্বাসঘাতক জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করার অংশীদার হয়েছে ইতিহাস তাদের মার্জনা করবে না। মীরজাফর ও ঘষেটি বেগমের মতো তাদেরও পতন হবে। বেঈমানদের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিদেরও মীরজাফরের বংশধর হিসেবে জনগণ আখ্যায়িত করবে। লিফলেট বিতরণকালে এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, এনডিপি মহাসচিব আব্দুলা আল হারুন সোহেল, এনপিপি প্রেসিডিয়া মেম্বার নবী চৌধুরী, ফখরুল ইসলামসহ জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700676, ভোরের কাগজ, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪,ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে," ৭ জানুয়ারির নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার, ডামি নির্বাচন কমিশন, ডামি ভোটার, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে সরকার সাফাই গাইলেও দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। হাতেগোনা ভোট করেছে। খাগড়াছড়িতে ১৯টি কেন্দ্রে ১টি ভোটও পড়েনি। এ সময় ভোট প্রত্যাখান করায় ৬৩ টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জনগণকে অভিনন্দন জানান বিএনপির নেতারা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্যরা। গত ২৮ অক্টোবরের পরে ৭২ দিন পরে আজ প্রথম গুলশান কার্যালয়ে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে আসেন বিএনপির নেতারা। দলটি পক্ষ থেকে বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান দাবি করেন, নিশিরাতের সরকারপ্রধান ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে বিভিন্নরকম অপকৌশল নিয়েছিল। অথচ দেশের অনেক কেন্দ্রে ১টি ভোটও পড়েনি, কিছু কেন্দ্রে ১০-১২টি ভোট পড়েছে। নিজেদের মধ্যে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেও ভোটার আনতে পারেনি। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনির আওতাভুক্তদের হুমকি দিয়ে, ডামি লাইন বা শিশুদেরও ভোটার বানিয়ে লাভ হয়নি।বর্তমান একদলীয় বাকশালি সরকারের অধীনে কোনওভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা জানিয়ে তিন বলেন, ধারাবাহিকভাবে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে জনগণের নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভোট গ্রহণের হার নিয়ে বক্তব্য হাস্যকর। যত সংখ্যাই পড়ুক না কেনো, কমিশন আগেই কত সংখ্যক ভোট পড়েছে তা পূর্বেই নির্ধারন করে রেখেছে।বিএনপির এই নেতার দাবি, ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে নানা অপকৌশল নিয়েছিলো, নিজেদের মধ্যে কৃত্রিম প্রতিযোগী তৈরি করেও তারা ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পারেনি। ভোটের কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করেছে, শিশুদের দিয়ে ভোট দেয়ানো হয়েছে। এই ভুয়া নির্বাচনে কে বিজয়ী এগুলো সবই ছিলো পূর্ব নির্ধারিত। ভোট যত শতাংশই পড়ুক, সব আগে থেকে কমিশনকে শিখিয়ে দেয়া। ডামি প্রাথী, ডাৃি ভোটার, ডামি অবজারভার দিয়ে এমন ভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে; যাতে নির্বাচনী ব্যবস্হা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য, নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আমল না নিয়ে সরকাট যে নির্বাচন করেছে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। এ কারনে বিএনপি সহ সব রাজনৈতিক দাবি, অবিলম্বে এই ডামি নির্বাচন বাতিল করতে হবে, হাসিনাকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। এটিই হলো আজকের দিনে জনগণের প্রধান দাবি। আগামী দিনের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই। অসহযোগ এখনো বহাল আছে কিনা? ভোট বর্জনের আহ্বান ছিলো মূলত অসহযোগ, জনগণ তা সফল করেছে। ইতিহাস একটার পরে একটা হচ্ছে। এই ক্ষমতাসীন দলের সিটিং এমপিও নির্বাচন করে জয়ী হয়েছে এটা হয় কখনো? নির্বাচন কোনো খেলা নয়, সরকার নির্বাচন নিয়ে যে খেলা খেলেছে এটা তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। ক্রেন দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছিল নিজ দলের প্রাথীদের টেনে তুলতে, এটা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করি, এটা নিয়ে রসিকতা করার অধিকার কারো নেই।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700720, ভোরের কাগজ, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, হেরে গিয়ে যা বললেন ইনু," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রশাসনকে দায়ী করেছেন হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৮ জানুয়ারি) হারের কারণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।ইনু আরো বলেন, সারা দেশে নির্বাচন একটা পর্যায়ে হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় ভোট কারচুপি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার এলাকাও এর মধ্যে পড়েছে। প্রশাসনের সরাসরি সহায়তায় ভোট কারচুপি হয়েছে। হারের জন্য আমি প্রশাসনকেই দায়ী করছি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার এলাকার ১৮টি কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করেছে।তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রে ২৯০০ ভোট পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আর নৌকা পেয়েছে মাত্র ৮৫টি ভোট। এতেই বিষয়টি স্পষ্ট। এমন আরো ১৮টি উদাহরণ তার কাছে বলেও জানান তিনি।স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেউ তাকে সমর্থন করেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ করেছে। আর বাকি অংশ প্রকাশ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় তার কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে বলেও দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700519, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা," ঢাকা-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ সোহেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এই ঘোষণা দেন তিনি।মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, হরিদাবাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। জুরাইন হাজী সরিমুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আমাকে আধা ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। আধা ঘণ্টা পর কেন্দ্রে ঢুকতে পেরেছি। আমি প্রার্থী হয়ে ঢুকতে পারি নাই। নিশ্চয়ই সেখানে এমন কিছু হয়েছে, যাতে আমি সেটা দেখতে না পারি। তিনি বলেন, আমার এজেন্টদের নিরাপত্তা না থাকার কারণে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ায় আমি এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮ ও ৫৯ আসন নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। এই আসনে প্রার্থী সংখ্যা ৯ জন। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া আওলাদ হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ভোটের দৌড়ে।গত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ায় এখানে জিতেছিলেন জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলা। এবার ছাড় না পেয়ে লাঙ্গল প্রতীকে লড়াই করছেন দলের এই কো-চেয়ারম্যান। তাই এখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনার কথা বলছেন স্থানীয়রা।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700536, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪," আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, সরকার ভুয়া নির্বাচন করছে"," সরকারের এই নির্বাচন যে সাজানো ও গোছানো এবং ভুয়া নির্বাচন তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আর এই সাজানো নির্বাচনের নাটকের শেষ অংশ আজ সকাল থেকে মঞ্চস্থ হচ্ছে।রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে তিনি এই কথা বলেন।দেশে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের রিপোর্টে প্রকাশ করে দিয়েছে, এই নির্বাচন একটি ভুয়া নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন মঈন খান। তিনি আরো বলেন, গত ১ বছর ধরে আমরা বলে আসছি, বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে বর্জন করেছে। সেই কথাটি আজকে ভোট বর্জনের মধ্যে জনগণ দেশে-বিদেশে সবার সামনে প্রমাণ করেছে। সরকারের নির্বাচনের নাটক আজকে সারা বিশ্বে উন্মোচিত হয়ে গেছে।বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনকারী ৬২ দল নির্বাচন বর্জন করছে বলেও দাবি করেন মঈন খান। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সকালের ভোট শুরুর পর থেকে আমরা বিভিন্ন ভোটে কেন্দ্রের ছবি সংগ্রহ করেছি। সেখানে যে শুধু ভোটার শূন্য তাই নয়, আজকে অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি, এই শীতের সকালে শত-শত ভোট কেন্দ্রের সামনে কুকুর রোদ পোয়াচ্ছে। এটাই আজকে বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন, তার বাস্তবতা। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা দেখেছি ভোট কেন্দ্রে মানুষ নয়, কুকুর-বিড়াল ভোট দেয়।কিছু-কিছু ভোট কেন্দ্রের সামনে কিছু লোককে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মঈন খান। তিনি বলেন, এটা দেখলে বোঝা যায়, তারা ভোটার নয়। আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষকে ভয়-ভীতি ও লোভ দেখিয়ে দাড় করিয়ে রেখেছে। এটা করে সরকার নিজেদেরকে প্রতারিত করতে পারবে, কিন্তু বিশ্বকে করতে পারবে না। গত ৭৯ দিনে বিএনপির ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে সরকার গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন জনাব মঈন খান। বলেন, কিন্তু আমাদের যে আন্দোলন সেটা থেকে সরাতে পারেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমাদের সেই আন্দোলন সফল হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে রাস্তায় দাড়িয়ে লগি-বৈঠা আন্দোলন করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, সেটাতো বিএনপি করে না।মানুষ কথা বলতে চায়, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায় ও তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়- আর এই তিনটির জন্য বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মঈন খান। বিএনপির পরবর্তী আন্দোলন কি হবে তা আগামী ২-১ দিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান মঈন খান।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700581, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, দেশবাসী স্বৈরাচারী সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছে," ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, একতরফা প্রহসনের নির্বাচনকে জনগণ সর্বাত্মকভাবে বর্জনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে একটি মেসেজ দিয়েছে। তিনি বলেন, ভোট বর্জন করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেয়ায় দেশপ্রেমিক ইমানদার জনতাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।ভোট বর্জনের মাধ্যমে সচেতন দেশবাসী স্বৈরাচারী সরকারকে লালকার্ড দেখিয়ে প্রমাণ করলো, দলীয় সরকারের পাতানো তথাকথিত এ নির্বাচনের নাটক শুধু দেখতেই চায় না বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। গোটা দেশে ভোটারবিহীন ভোট কেন্দ্রগুলোর করুণ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে রেজাউল করীম বলেন, দলান্ধ, দলবাজ ও বধির নির্বাচন কমিশন ভোটের পার্সেন্টিজের যে কল্পকাহিনী উল্লেখ করেছে, তা শুধু হাস্যকর, মিথ্যাই নয় বরং কোথাও রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, কোথাও বা প্রকাশ্য দিবালোকে গুণ্ডাবাহিনীর ব্যালটপেপারে সিল মারার হলি খেলার ঘটনা ঘটিয়ে ভোটারবিহীন ভোটের আইওয়াশ কাউন্ট করা হয়েছে।চরমোনাই পীর বলেন, দেশব্যাপী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের দাবানল যেভাবে জ্বলে উঠছে, দেশবাসী জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা প্রশমিত করবে, ইনশাআল্লাহ। দেশের জনগণকে নতুন উদ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলনের আমির।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700585, ভোরের কাগজ, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণ প্রহসনের ভোট বর্জন করে সরকারকে সমুচিত জবাব দিয়েছে," ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রহসনের তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোট বর্জন ও সর্বাত্মক হরতাল পালন করায় রাজধানীবাসি অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (৭ জানুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তিনি।তিনি বলেন, রাষ্ট্র-যন্ত্রের হাজারো জুলুম নিপীড়নের স্বীকার হয়েও বিরোধী দলসমূহের আন্দোলনের পাশাপাশি অধিকার বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ জনগণ সব প্রকার ভয়ভীতি ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সরকারের একতরফা তামাশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট বর্জন করেছেন। বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে। অনেকের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলো, যারা ভোট দিতে আসবেনা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবে। সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নাটক মঞ্চস্থ করে জনগণের সঙ্গে যে নির্মম উপহাস ও প্রতারণা করতে চলেছিল, সব প্রকার ষড়যন্ত্র ও ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে ভোট বর্জনের মাধ্যমে জনগণ তার সমুচিত জবাব দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিবেকবোধ সম্পন্ন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ জনগণ ভোট বর্জন করা সত্বেও আওয়ামী লীগ জাল ভোট ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটের হার বৃদ্ধির ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতা স্বৈরাচারী সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই এদেশে বাস্তবায়ন করতে দেবেনা",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/700852, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, মানিকগঞ্জে ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে এমপি প্রার্থী ছিলেন ২০ জন। এদের মধ্যে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক সাংসদ মফিজুল ইসলাম কামালসহ ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।গত রবিবার (৭জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।বিধিমতে, নির্বাচনে কোন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৪জন। এর মধ্যে ২ জনের জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৭ জন। তবে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫২২টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১০ হাজার ৩৬১ টি, যা পাননি ২ জন প্রার্থী। এ আসনে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ৮৬ হাজার ৯৪১টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৪২ টি ভোট। এছাড়া গণফন্টের মাছ প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাজাহান খান পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭ টি ভোট এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মোনায়েম খান পেয়েছেন ৬শ ৩৩ ভোট।মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তাদের ৮জনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। এখানে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২টি। ভোট প্রয়োগের হার ৪১.৭০ ভাগ। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১৫ হাজার ৫৮০টি। তবে এখানে ৮জন প্রার্থীর কেউ এই পরিমাণ ভোট পাননি।এ আসনে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের মমতাজ বেগম। তিনি পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।এ আসনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান। তিনি কেটলী প্রতীকে ভোট পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭১১। সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ঈগল প্রতীকে ৬ হাজার ১২৫ ভোট, সাবেক ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল মোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৬৩১ ভোট, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ আশিফ ৫শ ৩৬ ভোট, কংগ্রেস পার্টির মো. জাকির হোসেন ডাব প্রতীকে ২শ ৫২ ভোট, সুপ্রিম পার্টির একে নাহিদ একতারা প্রতীকে ১শ ৯২ ভোট, একেএম ইকবাল হোসেন নোঙর প্রতীকে ৮৯ ভোট এবং গামছা প্রতিকের তানভীর হাসান পেয়েছিলেন ১৯ ভোট।মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬জন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪১হাজার ৬৫২টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১১ হাজার ৩৩২।এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন। জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন- গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সাংসদ মফিজুল ইসলাম খান কামাল। তার ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৯১, জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেল ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট, গামছা প্রতীকের প্রার্থী এম হাবিবুল্লাহ ১ হাজার ১০ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম আলী খান মজলিশ ৬শ ১৫ ভোট এবং নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এম খালেক দেওয়ান ৪শ ৭১ ভোট পেয়েছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700812, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কানাডার বিবৃতি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কানাডা। বিবৃতিতে নির্বাচন নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছে দেশটি। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কানাডা বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা এবং সমর্থন করে বলেও জানিয়েছে দেশটি।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে কানাডা সরকারের ‘গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা’ ডিপার্টমেন্ট। কানাডিয়ান সরকারের এই বিভাগটি কানাডার কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পর্ক পরিচালনা করে, কানাডিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দেখভাল ও কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা পরিচালনায় নেতৃত্ব দেয়।এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি দেখানোর মতো কাজ ও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি।’বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘কানাডা হতাশা প্রকাশ করছে যে, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কানাডা, যা হবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও ছিল এবং আরো স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’এর আগে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও জানিয়েছে দেশটি। নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সংস্থাটির উচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রধান সবকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700802, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলল ইইউ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংস্থাটির উচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রধান সবকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইইউর পক্ষে ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোটের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মাধ্যকার সম্পর্ক গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের মূল্যবোধ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রোববার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের তদন্ত করা প্রয়োজন।’এতে বলা হয়, ‘ইইউ নির্বাচনকালীন সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। নির্বাচনকালে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে ইইউ সম্মান করে এবং সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে। এ ক্ষেত্রে বিরোধী নেতৃত্বকে আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের জন্য ইইউ সব পক্ষকে আহ্বান জানায়। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ধরনের ভয়ভীতি ও বাধা ছাড়াই যেন তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইইউ।’জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য প্রকল্পে দেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ অ্যাক্সেসসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে- এমন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যাবে। ",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/700875, ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪," ফল প্রত্যাখ্যান, পুনরায় নির্বাচনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর"," ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হক রায়হান।বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীতে এক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে রাহেনুল হক রায়হান বলেন, ভোটে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট নই, আমি মনে করি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কালো টাকা ব্যবহার করেছেন।তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পরেও আমাদের কর্মীদের একেরপর এক মারধরসহ বাড়িঘর পুড়ানো হচ্ছে, আমার কর্মীরা অনেকে এখন মেডিকেলে ভর্তি আছেন।প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রায়হান বলেন, যারা ভোটের কাজে নিয়োজিত ছিলেন পোলিং অফিসার থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং অফিসার সবার আচরণ পক্ষপাত মূলক ছিলো। আমি যখন বিভিন্ন কেন্দ্রে যাই তখন দেখেছি কক্ষ বন্ধ রেখে তারা কাজ করছিলো। আমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।রাহেনুল হক রায়হান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তবে এখানে মনোনয়ন পান বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেনুল হক রাহান। বেসরকারি ফলাফলে ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সাংসদ শাহরিয়ার আলম আর কাঁচি প্রতীকের রায়হান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700483, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, সংঘাত-সহিংসতা- হুমকি- টাকা ছড়িয়ে নির্বাচন হচ্ছে চট্টগ্রামে," প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্য সংঘাত- সহিংসতা- হুমকি- ধামকি-নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া, ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে এবার নির্বাচন হচ্ছে। তবে পুলিশ- বিজিবি-ব্যাব- সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দৃশ্যত: সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। সারাদেশের ন্যায় সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই নির্বাচন। তবে চট্টগ্রামে এবার, ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টসহ আরো কিছু ছোট ছোট দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিএনপি'র স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীও কিন্তু এই নির্বাচনে নানাভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। যদিও বিএনপি বর্তমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করা ও প্রতিহত করার সর্বাত্বক ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি- জামায়াত আহুত ৬ ও ৭ জানুয়ারিতে সারাদেশে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি মোটেই। কারণ চট্টগ্রামসহ সারাদেশই এখন নির্বাচনমুখী। চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। সর্বত্র চলছে ভোটের হিসাব নিকাশ। পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠে ভোটার এবং প্রার্থীরা ভোটের অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। তাদের যেন ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্যদিকে নির্বাচনে ভোট দিতে বন্দরনগরীতে বসবাসকারী ভোটাররা গ্রামে চলে যাওয়ায় ফাঁকা হয়ে গেছে নগরী।চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন দলের এবং স্বতন্ত্রসহ ১২৫ জন প্রার্থী নিবাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন। ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৯ আসনে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। এসব আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে একজন বর্তমান সংসদ-সদস্যও রয়েছেন। ইতোমধ্যে এসব আসনে কয়েক দফা নির্বাচনি সংঘাত হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনপূর্ব সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর থেকে ভোটারদের মাঝে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে।তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাশাপাশি এসব আসনে অতিরিক্ত নজরদারি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার করে ৯ হাজার পুলিশের অফিসার ও সদস্য নির্বাচনী মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৯৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৮২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছেন।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীর ৬টি সংসদীয় আসনের ৬৬০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ২১৪টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ কেন্দ্র’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একইভাবে চট্টগ্রাম জেলার ১০টি সংসদীয় আসনের ১৩৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০১৩টি ভোট কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ৩৫০টি ভোটকেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন ও কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বা সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন সশস্ত্র পুলিশ এবং ১৫ আনসার সদস্য থাকবেন। পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসাবে রাখা হচ্ছে।চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ২০২৩ ভোট কেন্দ্র এবং ১৩ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে। জেলায় ১০টি আসনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অপর ছয়টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব আছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং নারী ভোটার ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯০২ জন।সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষ। সকল নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে চলে গেছে। সার্বিক বিষয়গুলো নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ মনিটরিং করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএনপি-জামায়াত ভোটের মাঠে না থাকায় কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র। যেসব আসনে ভোটের দিন সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)। ইতোধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ), চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলার আলোচিত এসব আসনে সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভোটারদের। তবে পুলিশ কর্মকর্তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। এই ব্যাপারে আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই-নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসুন, উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট দিন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। কোথাও কাউকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে দেব না। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ব্যাপারে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে প্রথমে কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের নিরাপত্তা বলয়, এরপর থাকবে মোবাইল টিমের সদস্যরা। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে শতভাগ সুষ্ঠু। কেউ এদিক-ওদিক করার সুযোগ নেই। কোনো কেন্দ্রে যদি কেউ বিন্দুমাত্র প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। এই ক্ষেত্রে কোনো প্রিসাইডিং অফিসারের যদি কোনো ধরনের দায়িত্ব অবহেলা থাকে- তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700442, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটে 'গণঅনাস্হা' জানানোর আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের," ৭ জানুয়ারি (রবিবার) ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে সরকারের প্রতি ‘গণঅনাস্থা’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের এক সমাবেশে মঞ্চের নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই আহ্বান জানান।তিনি বলেন, আমরা ভোটারদেরকে বলতে চাই, আগামীকাল আপনারাদের যে ভোট বর্জন এবং আপনাদের যে এই নির্বাচন প্রত্যাখান-বর্জনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা আপনারা ব্যক্ত করবেন। আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মানে এই দুর্বৃত্ত শাসনকে দীর্ঘায়িত করা, আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে যাওয়া মানে এই চোর, এই লুটপাটকারী, খুনি-মাফিয়া-সন্ত্রাসী ওদের অবৈধ-দখলদারিত্বকে আরও সেখানে দীর্ঘায়িত করার সহযোগী হওয়া। কোনো সচেতন মানুষ এই দুর্বৃত্তদের এই খেলাতে কেউ অংশ গ্রহণ করতে পারে না। আমরা সেই কথা বলে আগামীকাল আমরা মানুষকে ঘরে থেকে যার যার চেতনা অনুসারে ভোটকে প্রত্যাখ্যান-বর্জন করে এই সরকারের প্রতি আপনারা আরেকবার অনাস্থা ব্যক্ত করবেন, লাল কার্ড দেখানোর মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায়কে আপনারা নিশ্চিত করবেন।একই সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাইফুল হক বলেন, আপনারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতন করে এই ভোট ডাকাত এই ভোট চোর সরকারের ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করবার জন্যে, দীর্ঘায়িত করবার জন্যে কোনোভাবে এদের সহযোগী হবেন না। নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের বলতে চাই, বিবেকের দংশন থেকে এই অবৈধ ভোট ডাকাতির ভাগাভাগি যে নির্বাচন, ডামি নির্বাচন এই তৎপরতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করুন।ভোট বর্জনের দাবিতে বেলা ১২টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চ বিজয় নগর, পল্টন মোড় সড়ক, তোপখানা রোডে মিছিল এবং এরপর তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।‘ভোট আনতে টাকা দিচ্ছে’সাইফুল হক বলেন, একেকটা ভোটের দাম নাকি শুনছি এক হাজার টাকা থেকে ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও নাকি দেড় হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে দশ হাজার টাকায় একেকটা ভোটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে তারা টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবহার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা হুমকি দিচ্ছে, পুলিশ হুমকি দিচ্ছে… তারা ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য একটা পরোয়ানা জারি করে দিয়েছে, যারা ভোট কেন্দ্রে আসবে না তাদেরকে নাকি দেখে নেয়া হবে। এর নাম কি ভোট? এর নাম কি গণতন্ত্র? শুনছি নির্বাচনের কেন্দ্র গুলোর আশে-পাশে নাকি আওয়ামী লীগ ব্যাপক খানা-পিনার ব্যবস্থা করবে। গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগী অনেক কিছু কোরবানি দিয়ে একটা মানুষ জড়ো করার একটা তৎপরতা চলবে…. দেশব্যাপী লুটের টাকাটা ভোট ভোট দেখানোর জন্য তারা বণ্টন করছে। ভোট কেন্দ্রে নেবার জন্য মানুষকে গ্রেফতার করে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে এরা ভোট কেন্দ্রে মানুষকে হাজির করতে চায়। এসব করে কি সরকার শেষ রক্ষা করতে পারবে ? ‘নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপরে দোষ চাপাচ্ছে’গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা জনগণের ঐক্যের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অহিংসভাবে এই একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। আমরা বলেছি, সরকার নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে, নানাভাবে তারা নাশকতার তৈরি করে তার দায় বিরোধী দলের আন্দোলনের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।”‘‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাই এই যে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা, এই খেলার বিরুদ্ধে আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই যে ট্রেনের ঘটনা ঘটেছে, আগুনে পুঁড়ে নিহত হতে দেখলাম… আমাদের তীব্র ক্ষোভ, শোক, ঘৃণা আমাদের প্রকাশের কোনো ভাষা নেই। আমরা আগেই বলেছিলাম এরকম নানা নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে সেগুলো খুঁজে বের করুন। আমরা স্বাধীন তদন্তের দাবি করেছি, আমরা এখনো দাবি করছি এই ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের ‍মুখোমুখি করতে হবে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে যে গণতন্ত্র আছে সেই গণতন্ত্রের জন্য আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে যান, ভোট দেন। দেশে কি গণতন্ত্র আছে? মানুষ কি ভোট দিতে পারে? এই সময়ে কর্মী-সমর্থকরা সমস্বরে ‘না’ সূচক শ্লোগান দেন।সাকি বলেন, এই ভোট এটা মানুষের ভোট দেয়া নয়। মানুষের ভোটের অধিকার তার ভোটের কার্যকারিতা কেড়ে নিয়ে এরা ভোট নামক একটা তামাশা একটা রঙ্গমঞ্চ তৈরি করেছে। কাজেই তামাশার রঙ্গমঞ্চে বাংলাদেশের মানুষ অংশ নেবে না।এটাই আমাদের নীরব প্রতিবাদ হিসাবে প্রতিটি মানুষ ঘরে থেকে এই নীরব প্রতিবাদে অংশ নেবে।রাষ্ট্রীয় সুবিধাবাদী কার্ডধারীদের কার্ড বাতিলের হুমকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এতো আপনাদের (সরকার) দাপট। সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আপনারা দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও আপনারা ভয়ে কম্পমান। মানুষকে ভয় দেখানো ছাড়া ভোট কেন্দ্রে কাক-পক্ষীকেও তারা নিতে পারবে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তা অল্পসংখ্যক ছাত্র মেরুদণ্ড সোজা করে এই একতরফা ভোটের প্রতিবাদ করছে। সাড়ে তিন কোটি তরুণ যারা আজকে প্রথম ভোটার তাদের ভোটের অধিকার, ভোটের কার্যকারিতা কেড়ে নিয়ে এই সরকার তার নাগরিকদের যে অপমান করছে তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্ররা দাঁড়িয়েছেন। আমরা দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের টেলিফোন নাম্বার, পিতা-মাতার ফোন নাম্বার সব নিয়ে তাদের বাবা-মাকে টেলিফোন করছেন, হুমকি দিচ্ছেন ….এই হচ্ছে আপনাদের শক্তি…আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রের প্রতিবাদ সহ্য করতে পারছেন না।”ভোট বর্জন করে ‘নীরব’ প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সরকার পতন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা।সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘‘ আগামীকাল ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জন করুন। ৭ জানুয়ারির পরে নতুন পর্যায়ে নতুন কর্মসূচি নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ নতুন লড়াই, নতুন সংগ্রামের সূচনা করবে।রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রিতম দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু ও নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবার পার্টি প্রভৃতি সংগঠন আলাদা আলাদাভাবে তোপখানা রোড ও বিজয় নগর সড়কে মিছিল করে ভোট বর্জনের আহ্বান জানায়।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700439, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, যে কারণে ভোট দিতে পারছেন না জিএম কাদের," ঢাকার ভোটার হওয়ার কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ভোট দিতে পারছেন না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও তিনি ভোটার হয়েছেন ঢাকার। তবে ভোট দিতে না পারলেও নির্বাচনের দিন নিজ আসনের ভোটের পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন এবং সারাদেশের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক।আব্দুর রাজ্জাক আরো জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন রংপুরে অবস্থান করবেন। তিনি সকাল ৯টার মধ্যেই বাসা থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। রংপুরে থেকেই সারাদেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং দেশের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।জাপা সূত্রে জানা যায়, জিএম কাদের জন্মসূত্রে রংপুরের বাসিন্দা এবং এইচএসসি পর্যন্ত রংপুরেই পড়ালেখা করেছেন। মেকানিক্যাল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেকানিক্যাল প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি, ইরাকের কৃষি মন্ত্রণালয় ও যমুনা তেল কোম্পানিতে চাকরি করেন।সবশেষ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে পরিকল্পনা ও অপারেশন্স পরিচালক থাকাকালীন চাকরি থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হন। জিএম কাদের মূলত বড়ভাই সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আহ্বানে রাজনীতিতে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।জিএম কাদের সপ্তম, অষ্টম, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লালমনিরহাট-৩ ও রংপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও ছিলেন জিএম কাদের।উল্লেখ্য, রংপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য হতে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। জাপা চেয়ারম্যান ছাড়াও আসনটিতে যারা লড়ছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ও ঈগল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে আনোয়ারা ইসলাম রানী।রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন, আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার মাত্র দুইজন। ১৭৫টি কেন্দ্রে এবং ১০১৬টি ভোট কক্ষে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700426, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের 'ভোটার কেনার' প্রতিযোগিতা চলছে," ৭ জানুয়ারি সারাদেশে 'ডামি' ও ভাড়াটিয়া এমপি প্রার্থীদের 'ভোটার কেনার' অর্থ-উৎসবের প্রতিযোগিতা চলছে দাবি করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্লজ্জ ও বেহায়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনে জন-সম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া হয়ে ভোট কেনা শুরু করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতই আজ রাত থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তাই রাতের ভোট-ই আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র ভরসা।শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় 'আগামীকাল ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন, সফল করার লক্ষ্যে হরতাল সমর্থনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এই নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাবে পরাজয় হয়েছে। তাই তারা জনগণের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। তবে নির্বাচনের পরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিদেশিরা এই সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বায়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই অগ্নি-সন্ত্রাস করে, আর দায় চাপায় বিরোধী দলের উপর। আওয়ামী লীগের অতীতের ইতিহাস অগ্নি-সন্ত্রাস করে মানুষকে কাবাব বানিয়ে পুড়ানোর ইতিহাস। সুতরাং বিএনপি -১২ দলীয় জোট অগ্নি-সন্ত্রাস করে না। আওয়ামী লীগই অগ্নি-সন্ত্রাসের জনক। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে সফল হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। জনগণ ভোট বর্জন করবে।জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই সরকারের সময় শেষ, যে কোন সময় তাদের পতন হবে। জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামীকাল কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না।হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ।উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, গোলাম মুর্তুজা মানিক, মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মো. ফারুক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আল মাসুদ হাসান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, উমার আল রাযী, ইমরান হোসেন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার,ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ, মো. মিকাইল হোসাইন প্রমুখ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700281, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ৩০ সিট পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নির্বাচন ভয় পায়," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করে বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩০ সিট পয়ে হেরে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছর সরকারে আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। সেবার বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্যজোট আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের মহাজোট ছিল। সেই নির্বাচনে শুধুমাত্র নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি সিট। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। বাকিগুলো আমাদের যারা জোটে ছিল তারা পেয়েছিল। তারপর থেকে বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা ভয় পায়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য ২০১৩ থেকে তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের ওপর তারা মানুষ পুড়িয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ মানুষ মারা গেছে। তিন হাজার আটশ’র বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপির একমাত্র গুণ। এটাই তারা পারে। আর কিছু পারে না। মানুষকে কিছু দিতে পারে না। এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান।প্রধানমন্ত্রী বিকেল পৌনে ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্য চলাকালে আসরের আজান শুনে বিরতি দেন তিনি, আজান শেষ হলে ফের বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।দলীয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700479, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, কমনওয়েলথ সেক্রেটারির বক্তব্য বাস্তবতার পরিপন্থী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেয়া এক প্রেস বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশে নির্বাচনের ঠিক ২ দিন আগে এ বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে ৭ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচন হতে চললেও ওইদিন ‘একটি অনুকূল পরিবেশে নাগরিকদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে’ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে।বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়- কমনওয়েলথ মহাসচিবের এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে হতবাক করেছে। যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রহসনমূলক ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিস করেছেন। তার বক্তব্য বাংলাদেশের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা বিশ্বাস করি, তার বক্তব্য গণতন্ত্রপন্থি বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।বিএনপির দাবি, প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে, বাংলাদেশের সব প্রধান গণতন্ত্রপন্থি রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচন বয়কট করেছে। শুধু ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ডামি/স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদ নিয়ে ভুয়া বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়। যেহেতু নির্বাচনের ফল ইতোমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এবং জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্য থেকে বেছে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। কোনো অনুকূল পরিবেশ এবং সমান খেলার সুযোগ নেই, ভোটাররাও একতরফা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। শাসকদল এখন ভোটকেন্দ্রে জনগণের উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ভোটার বা ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানো যায়।বলা হয়, এ ধরনের কাল্পনিক গল্পগুলো স্থানীয় মিডিয়া (সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও), সোশ্যাল মিডিয়া এবং খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া দ্বারা ভালোভাবে কভার করা হয়েছে। তবে কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত যে, গত ৩ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্বিচারে ব্যাপক গ্রেপ্তারের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও ভয়ের অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগে কারাগারে বন্দি বিএনপির মহাসচিব ও এর শীর্ষ নেতাসহ ২৭ হাজারের বেশি বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বী নেতাকর্মী। পুলিশ হেফাজতে অসংখ্য মানুষ নিহত, নির্যাতন ও মারা গেছেন।বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার যারা আইনের শাসন এবং উদার মূল্যবোধে বিশ্বাসী তারাও বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।অন্যদিকে, সব গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে বাধ্য করে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে এবং ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডামি ভোটারদের দ্বারা একটি মঞ্চস্থ নির্বাচনের পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা করছে। এটি একটি ভুয়া নির্বাচন।আরো বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি কমনওয়েলথের অঙ্গীকার স্বীকার করে। কমনওয়েলথের মহাসচিব যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করতে চান, যেমন তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, জনগণ তার কাছে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও প্রশাসনের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে। কিন্তু তার বক্তব্য বাস্তবতার সংস্পর্শের বাইরে, কারণ ৭ জানুয়ারি এ প্রহসনমূলক অনুশীলনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার অনুচ্ছেদ ২১ এবং ২১-এর অধীনে কোনো মানদণ্ডের নির্বাচন হিসাবে স্বীকৃত বা আখ্যায়িত হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও পূরণ করে না।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700476, ভোরের কাগজ,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ কাল্পনিক: রিজভী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারি দল নিজেরাই পরিকল্পিত নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ বুঝে এগুলো কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে তামাশার ভোটের একদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববারের ভোটের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা ছবি দিয়ে পোস্ট করছে আওয়ামী লীগের লোকজন। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের ভোটের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা পেপার বইয়ের ছবি প্রমাণ করে কি ধরনের নির্বাচনী তামাশা মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।রিজভী বলেন, গত শনিবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের নৃশংসতম বর্বরোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনার পরই আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি। প্রকৃত দোষীদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে সাত সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে মহানগর ডিবি পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় না কি বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ডিবি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনায় বিএনপিকে দুষছেন। কি হাস্যকর বয়ান। ক্রসফায়ারের নিত্যদিন একই কাল্পনিক গল্পের মতো তাদের প্রতিটি ঘটনায় গল্প তৈরি থাকে।তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ছয়জনকে তুলে নিয়ে গেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এখন তাদের নৃশংস নির্যাতন করে দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। প্রতিটি নাশকতার ঘটনার পর বিএনপির ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় পুলিশ প্রশাসনের মজ্জাগত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংস হিসেবে দেখাতে পারে। যেমনটা তারা ১৯৯৬, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে করেছে, বিভিন্ন সময় যেমন করেছে। প্রায় প্রতিটি আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। কোনোটা প্রকাশ হচ্ছে কোনোটা ঢাকা দিচ্ছে পুলিশ।রিজভী আরো বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে নারী শিশুসহ চারজন সাধারণ নিরীহ মানুষকে নৃশংসতমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। এ বর্বরতার ঘটনায় জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি। এ ক্ষমতা লিপ্সু সরকারের কোনো তদন্তের ওপর দেশের জনগণের ন্যূনতম আস্থা-বিশ্বাস নেই। কারণ তাদের তদন্তের টার্গেট থাকে বিএনপিকে দোষী বানানো। অনেক মিথ্যা ঘটনা তারা সৃষ্টি করে তার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনোটাই আখেরে ধোপে টেকেনি।রিজভী আরো বলেন, দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে উপেক্ষা করে প্রকাশ্য তথাকথিত ভোট রঙ্গ বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে ভয়ংকর বিপদের অতলে। ইতোমধ্যে এই তামাশার নির্বাচন বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বিরোধীদলের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৬ আসনের অটো পাস এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালী থানার ওসিকে হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। সিইসিও বিএনপিকে হুমকি দিচ্ছেন।গত ৪৮ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি এবং আহতদের তালিকা তুলে ধরে রিজভী জানান, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৫ জন নেতাকর্মীকে, আহত হয়েছে ৬০ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৬টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩৫৫ জন নেতাকর্মীকে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700274, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে নতুন কর্মসূচি বিএনপির," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার জন্য বিএনপি আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকাসহ সারা দেশে মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন।তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আমরা আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনের সংসদ নির্বাচন বর্জন করতে দেশবাসী ও সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাই।তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনে সরকার নিজেরা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ঘটিয়ে বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। আমি এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি চার দফা হরতাল ও ১৩ দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিলো বিএনপি।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700271, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, জমিদার সাহেবের টাকা বিতরণ বড় চ্যালেঞ্জ," ভোটের মাঠে জমিদার সাহেবের টাকা বিতরণ বড় চ্যালেঞ্জ এমন মন্তব্য করে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা (চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি) অভিযোগের আঙুল তুলেছেন একই আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মন্ডুমালা বাজারে নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ১৭ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি।১৭ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, জমিদারের লোকেরা টাকা দিলে নিয়ে নিবেন। কিন্তু ভোটটা ট্রাক প্রতীকেই দিবেন।তিনি জমিদার সম্মোধন করে আরো বলেন, জমিদারের অত্যাচার থেকে তানোর-গোদাগাড়ীবাসীকে মুক্ত করার জন্যই তিনি নির্বাচনে নেমেছেন। জয়-পরাজয় যেটাই আসুক না কেন, নির্বাচন শেষেও এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন ও দ্বারে দ্বারে যাবেন বলেও আশ্বাস দেন মাহিয়া মাহি।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700270, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, রাষ্ট্রদূত মাইলামের বক্তব্যে ইআরডিএফবির নিন্দা," বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংগঠন রাইট টু ফ্রিডমের সভাপতি ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইআরডিএফবি।দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টি অংশগ্রহণ করার পরেও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ে মার্কিন প্ল্যাটফর্ম ‘রাইট টু ফ্রিডমের’ উদ্বেগকে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) বিশেষ দলের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন হিসেবে দেখছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।সম্প্রতি এক বিবৃতিতে উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশী বন্ধুরা উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন।মাইলামের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসির) সদস্য এবং ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারনৈতিক রাজনীতির ফলস্বরূপ নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন। মোট ৩৫ দেশের ১৮০ জন বিদেশী পর্যবেক্ষণ আসছেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। ইতোমধ্যে ১০ দেশ তাদের পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা শক্তির বাইরে কোন দেশের উদ্বেগ নেই জানিয়ে তরুণসহ সকল ভোটারকে নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানান অধ্যাপক সাজ্জাদ। সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে গিয়ে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩০টির প্রার্থী অংশ গ্রহণ করছে আসন্ন নির্বাচনে যেখানে ক্ষমতাসীন দলের অনেকই কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি ইআরডিএফবির।অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য সমান স্থান নিশ্চিত করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্সের ভূমিকা পালন করছে। মার্কিন ও পশ্চিমা মহল বিশ্বের বিভিন্ন কোণে সেনা মোতায়েন করে শান্তি ও গণতন্ত্র বিনষ্টে জড়িত রয়েছে বলে দাবি করছে শিক্ষাবিদদের এই সংগঠন।ইআরডিএফবি সভাপতি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ব্যবসা বাড়ানোর জন্য যুদ্ধে ইন্ধন যোগাচ্ছে এবং উপসাগরীয় প্রতিরক্ষাকারীরা প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে। ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়ার মতো আরব দেশগুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে মার্কিন সেনারা। মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সম্পদ লুট হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।আসন্ন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে তরুণ-তরুণীসহ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700257, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, সরকারকে বিদায় নিতেই হবে," সরকারকে বিদায় নিতেই হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে সমর্থন করছে না।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ড. আবদুল মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কিছুদিন হয়তো ক্ষমতায় থাকা যাবে। তবে আজ হোক বা কাল হোক আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই সরকারের বিদায় করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ‘ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ- এ্যাব‘র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব তপন মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. এমতাজ হোসেন, ড্যাবের ডা. মো. মেহেদী হাসান, এডভোকেট আবেদ রাজা, রফিকুল ইসলাম, ডিইউজের সাঈদ খান, এ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার প্রমুখ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মৎস্যজীবী দলের অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এম এ করিম, আবদুল্লাহিল মাসুদ, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, এই বয়সে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি বিবেকের তাড়নায় রাজপথে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ আজ খাদের কিনারায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে সনদ সাম্য, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র এখানে নেই। পরপর কতগুলো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডান্ডাবেরি পড়ে একজন রাজবন্দির মৃত্যু হয়!তিনি বলেন, আজকে সবাই চিন্তা করুন ও ভাবুন আমরা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি? মনে রাখতে হবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে দিলারা চৌধুরী বলেন, এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন। আজকে ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনার আমার অবস্থা কোথায়? আপনারা বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চান? চলমান আন্দোলন শুধু বিএনপির একার নয়। এটা দেশের সকল জনগণের আন্দোলন।ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমাদের দফা এখন দাবি এক। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কেননা দেশের মানুষ বিগত কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোটের স্বাদ পায়নি। অথচ জনগণ ভোট দিতে চায়। সুতরাং আমরা এই সরকারের আসন্ন প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছি।সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া মানে রীতিমতো ডাকাতি। সুতরাং সচেতন দেশবাসী ও সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আহ্বান আপানারা ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700266, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ঝিনাইদহে নির্বাচনী এলাকার দুই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি," ঝিনাইদহে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা শহরের ২টি স্থানে একই সময়ে নির্বাচনী সভা আহ্বান করায় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ শহরের ওয়াজীর আলী স্কুল মাঠ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ শহরে একই সময়ে পৃথক দুই স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সভা আহ্বান করেছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কায় দুপুর ১২টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।তিনি বলেন, ওই দুই এলাকায় ৪০০ গজের মধ্যে জননিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল-মিটিং সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700249, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণকে রিফিউজি বানিয়েছে সরকার," দেশ ও জাতির স্বার্থে ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, শুধু বিনা ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য গত ১৫ বছর ধরে অব্যাহতভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে সরকার। সংবিধানকে দুমড়ে-মুচড়ে কাগজের নৌকা বানিয়েছে তারা। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এভাবে ভোটাধিকার হরণ করে দেশের জনগণকে রিফিউজিতে পরিণত করেছে। অতএব ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করুন।নির্বাচন বর্জনে ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরা রাজউক কলেজের সামনে লিফলেট বিতরণ শেষে এ আহ্বান জানান রিজভী।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন, দক্ষিণখান বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, দক্ষিণখান শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুরুজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুনতাসির, ডা. রাহাত, ডা. দিয়া, আশরাফুল আসাদসহ নেতারা।রিজভী বলেন, জোর করে জবরদস্তি করে ডামি ও একতরফা নির্বাচন করে দেশের বিপদ ডেকে আনবেন না। এভাবে পাতানো নির্বাচন করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সকল পর্যায়ের মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700278, ভোরের কাগজ,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের দিনে হরতালের ডাক বিএনপির," নির্বাচন বর্জন ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী ৬ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।এছাড়া, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।এ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701307, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪," দোয়া করবেন, এখনো চক্রান্ত শেষ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী"," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দোয়া করবেন, এখনো চক্রান্ত শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তারা (বিএনপি-জামায়াত চক্র) এখন নির্বাচন বাতিলের দাবি করছে। তারা জানে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। এ কারণেই তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। তাই, তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে ক্ষমতা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজছে। তারা এখন নির্বাচনে আলোর পথ এড়িয়ে অন্ধকারের গলির দিকে তাকিয়ে আছে।টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে শেখ হাসিনা আরো বলেন, দোয়া করবেন, এখনো চক্রান্ত শেষ হয়নি। এখনো শুনি তারা আবার লাফালাফি করে। নির্বাচন বাতিল করতে হবে, এই করতে হবে সেই করতে হবে। যাই হোক জনগণের ভোটে আমরা সরকারে এসেছি জনগণের কল্যাণেই কাজ করে যাব। ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩ আসন পেয়েছিল। তখন থেকেই তারা কোনো নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। তারা যত বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অগ্নিসন্ত্রাস করবে, জনগণ তত বেশি তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই তারা জানে যে, জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে বর্জন করেছে সেজন্য নির্বাচন করতে চায় না। এজন্যই নির্বাচন বানচাল করে কীভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় তারা সেই পথ খুঁজে বেড়ায়। অন্ধকার গলি খুঁজে বেড়ায়, আলো ঝলমল নির্বাচন আর জনগণের পথ হারিয়ে ফেলে। শেখ হাসিনা বিএনপি সম্পর্কে বলেন, তাদের একটাই দক্ষতা আছে, অগ্নিসন্ত্রাস, বাসে আগুন, লঞ্চে ট্রেনে আগুন দেওয়া, রেলের লাইন খুলে দিয়ে, রেলের পাত খুলে ফেলে মানুষ হত্যা করা। মানুষ মারার ফাঁদ পাতায় তারা ওস্তাদ। তাদেরকে জনগণ শুধু নির্বাচন নয়, বারবারই তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং হারার ভয়েই নির্বাচন করেনি। কিন্তু জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ জনগণ এবার স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আপনারাও নির্বাচনের জন্য এসেছেন এবং নিজের নিজের এলাকায় দেখেছেন জনগণ কিভাবে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনে আর একটি বিষয় লক্ষণীয় নারীদের অংশগ্রহণ। সেই ১৩০ বছরের বয়োবৃদ্ধ বলেছেন ‘হাসিনাকে ভোট দেব’। এর থেকে বড় পাওয়া মনে হয় জীবনে আর কিছু নেই, এই যে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা বলেন, যেন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। অন্তত এটুকু বলতে পারি গত ১৫ বছর আমরা সরকারে আছি বলেই আজকে বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব নেই। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, বাংলাদেশের মানুষ এখন আরো উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে রয়েছি। সেখানে নারী হত্যা, শিশু হত্যা হচ্ছে যা গণহত্যার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দাও জানিয়েছি। কিছু সহযোগিতাও পাঠানো হয়েছে এবং আরো পাঠানো হবে। তিনি এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্য বিভিন্ন ফোরামে, যখনি বিদেশে গিয়েছেন কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে এবং জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমাদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গের উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারে যখন ঝামেলা হয়েছিল তখন আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি এবং এ নিয়ে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কোন বিবাদে জড়াইনি বরং আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।বিশ্বে চলমান অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন ফোরামে যেখানে কথা বলেছি সেখানেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে এই অস্ত্রের টাকা শিশুদের খাদ্য, শিশুদের চিকিৎসা এবং তাদের শিক্ষার জন্য এবং মানবকল্যাণে ব্যয় করার কথা বলেছি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসময় রেমিটেন্স বৈধ চ্যানেলে পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যদি অনলাইনে ব্যাংকিং এর সুযোগ নিয়ে টাকাটা পাঠায় তাহলে যেটুকু পরিবারের জন্য খরচ হবে বাকিটা তার একাউন্টে জমা থাকবে এবং নিজেরও একটা ভরসার জায়গা থাকবে। তিনি তাঁর সরকারের চালু করা সার্বজনীন পেনশন স্কিম এবং প্রবাসী পেনশন স্কিম গ্রহণ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ ২৯টি দেশের প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানে তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে রেকর্ড পঞ্চম এবং টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701384 , ভোরের কাগজ,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, দেশে এখন এমপি ৬০০ জন," তিনশ আসনের জাতীয় সংসদে ছয়শজন সদস্য থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন এমপি ছয়শ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই সংসদ (একাদশ), সেই সংসদের সদস্যরা এখনো বহাল আছেন। কি করে সম্ভব? সংবিধানের কোন আইনে লেখা আছে এরা শপথ করতে পারবেন? আমি বলতে চাই, আপনারা (সরকার) সংবিধান মানেন না, সংবিধানের কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে আর অপমান কইরেন না। দয়া করে সংবিধানের নিয়ম মত চলেন, পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন।বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন নবম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ ফারুক।সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এর মধ্যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর গত ১১ জানুয়ারি শপথ নিয়েছে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা।তার আগে ১০ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের নতুন এমপিরা শপথ নিয়েছেন। অথচ একাদশ সংসদে মেয়াদ আছে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই প্রসঙ্গ ধরে ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেল, এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা যায়নি, এটা দেশবিদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এটা লজ্জার।বিএনপি নেতাদের মামলা-কারাগারের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার যত কলাকৌশল করুক না কেন তারা এরকম ভুয়া পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ অবশ্যই তাদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করবেই।”বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের ওবায়দুর রহমান টিপু, সাহাদাত হোসেন বিপ্লব, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, মৎস‌্যজীবী দলের সেলিম মিয়া, জাসাসের আরিফুর রহমান বক্তব্য দেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/701354, ভোরের কাগজ,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন 'একপাক্ষিক' ও 'পাতানো," সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে একপাক্ষিক ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির দাবি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত; গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অস্বস্তি ও বিব্রতকর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্রাকিং’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে এমন কথা তুলে ধরেছে (টিআইবি)। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা, সাজেদুল ইসলাম। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। সংসদে ব্যবসায়ী আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। 'বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর দেখাতে ক্ষমতাসীন দল বিবিধ কৌশল গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশি ছিল। ২৬৬ জন দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র ২৬৯ জন।ভোটের হারের বিতর্ক নিয়ে টিআইবি জানায়, নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই প্রতিবেদন ছিল নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদন। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে টিআইবি। গবেষণায় ৫০টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে।টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেজ্ঞ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদন্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার অন্যতম উপাদানসমুহ, তথা অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সর্বোপরি সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত, তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি। অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীনদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলের প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের ‘স্বতন্ত্র’ ও অন্য দলের সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের যে পাতানো খেলা সংগঠিত হয়েছে, তাতেও ব্যাপক আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ অসুস্থ ও সহিংস প্রতিযোগিতা হয়েছে, যার সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বাইরে রাজনৈতিক আদর্শ বা জনস্বার্থের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন।তিনি বলেন, সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের সম্ভাব্য সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যতটুকু আগ্রহ থাকবে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হবে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতার মানদন্ডে সরকারের প্রতি জনআস্থা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ও তার প্রভাব।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701636, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে ব‍্যর্থ হয়েছে," সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এবং এদেশের মানুষের ভাগ‍্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ‍্যমে এ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। আবারও সরকার গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন‍্য বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে ব‍্যর্থ হয়েছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করেও কোন লাভ হয়নি বলে বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে দ্বিতীয়বারের মতো একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ায় লাকসাম উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন সংগঠন এবং পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবু তাহের, ঢাকাস্থ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অহিদ উল্ল‍্যাহ মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্ল‍্যাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম প্রমুখ। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থেকে এদেশের উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করার কারণে এদেশের মানুষ বারবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে। ফলে টানা চারবার সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে মানুষ বিশ্বাস করেনা বলেই তারা ভয়ে নির্বাচনে আসেনা। তারা মানুষের মনের কথা বুঝেনা বলেই সহিংসতা করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ‍্যমে কত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে তারা হামলা করেছে। রাস্তায় প্রকাশ‍্যে পিটিয়ে পুলিশ মেরেছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এদেশকে নরকে পরিণত করবে বলেই এদেশের সাধারণ মানুষ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ‍্যের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়ন হয়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু ট‍্যানেল, পারমাণবিক বিদ‍্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, এক্সপ্রেস এলিভেটেড অন‍্যতম নজির। এছাড়াও বাংলাদেশ এখন খাদ‍্যেও স্বয়ংসম্পন্ন। এদেশের উন্নয়ন দেখলে বাংলাদেশকে ইউরোপের মতো মনে হয়। বিদেশীরাও আমাদের প্রশংসা করছে। আওয়ামী লীগ সরকার বারবার ক্ষমতায় থাকলে বঙ্গবন্ধু কন‍্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব‍্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। ",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701710, ভোরের কাগজ,২১ জানুয়ারি ২০২৪, বর্তমান সরকার শূন্যের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে," বর্তমান সরকারের ‘জনভিত্তি নেই, তারা শূন্যের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, বাস্তবে এই সরকার কি আরো পাঁচ বছর থাকবে? আমি তাদের উত্তরে বলি, ১৯৯০ সালের যেদিন এরশাদ সরকার এদেশ থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তার একদিন আগেও কি সেই সরকার জানতো যে, এভাবে তাদের চলে যেতে হবে। জানতো না। আজকে আওয়ামী লীগ তাদের যে কথাটা বলছি, জনগণই হচ্ছে একটি এদেশের সরকারের ভিত্তি। সেই জনগণের ভিত্তি আস্তে সরে গিয়েছে। আওয়ামী লীগ শূণ্যের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহুর্তে এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরো দিতে হবে। আমরা রাজপথে আন্দোলনে রয়েছি, আমাদের রাজপথে আন্দোলনে থাকতে হবে। তবে এই আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তি প্রিয় এবং নিয়মতান্ত্রিক। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এদেশে ফিরিয়ে আনার আমাদের যে আন্দোলনের প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক। আমরা নিয়মনীতিতে বিশ্বাস করি, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির এটাই হচ্ছে তফাৎ।তিনি আরো বলেন, সরকার কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়। বাংলাদেশের সংবিধান স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছে, এই রাষ্ট্রের মালিক কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এই রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে অমোঘ বানী তিনি বলেছিলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। প্রতি পাঁচ জনগণ তাদের সেই ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাঁচ বছরের জন্য কারো ওপরে তারা দেয় ; কেননা ১৮ কোটি মানুষ তো দেশ শাসন করতে পারে না। সংসদে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি থাকে তারা একটি সরকার গঠন করে সেই সরকার যদি ভুল করে যে, আমরা চিরদিনের জন্য ক্ষমতা পেয়ে গেছে সেটা আজকের সরকার মনে করছে। তাহলে কিন্তু তারা মারাত্মক ভুল করবে।মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701526 , ভোরের কাগজ,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, দেশে আজ গণতন্ত্র মৃত," বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র মৃত বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এখানে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এখানে মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার নেই।শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।মঈন খান বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। আজকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশে আজকে সেই গণতন্ত্র মৃত। এটা শুধু আমাদের এবং বাংলাদেশের মানুষের কথা নয়, সারাবিশ্বে যারা গণতন্ত্রকামী মানুষ রয়েছেন- গণতন্ত্রকামী যেসব দেশগুলো রয়েছে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, তারা সবাই এক বাক্যে একটি কথা বলেছেন- বাংলাদেশ আজকে একদলীয় শাসনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আর আমাদের যে কর্মসূচি তা চলমান রয়েছে। এই চলমান কর্মসূচি আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে অব্যাহত রাখবো। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. মঈন খান বলেন, টিআইবি যা বলেছে, সেটা জনমতের প্রতিফলন। আমরা যা বলেছি, সেটাও জনমতের প্রতিফলন। ফলে আমাদের কথা যদি মিলে সেটা একজন আরেকজনকে পছন্দ করার জন্য না। সত্য বলার জন্য। বিএনপির সত্য কথাগুলোই সবাই বলছে। এতেই সরকারি দলের গাত্রদাহ। নির্বাচন পরবর্তী পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন কেমন হবে- এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মূল কথা জিয়াউর রহমানের যে আর্দশ, তিনি দেশকে পুনর্গঠন করেছেন, দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সূচনা করেছেন- আজকে সেটা ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে দেশকে রক্ষা, তিনি যে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই গণতন্ত্রকে আবার মেরে ফেলা হয়েছে। সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করার যে লড়াই, সেই লড়াই চলছে। আর সেই লড়াইয়ের যে বিভিন্ন কর্মসূচি তা আপনাদেরকে (সাংবাদিক) জানানো হয়। পরবর্তী কর্মসূচি যেটা হবে তা আপনাদেরকে জানানো হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701565 , ভোরের কাগজ,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৭ জানুয়ারি আ.লীগের সচেতন নেতাকর্মীরাও ভোট বর্জন করেছেন," ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সচেতন নেতাকর্মীরাও ভোটবর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সমস্ত পর্যবেক্ষণ মিলিয়ে দেখা যায় ভোটের আগের দিন ভোট প্রতিহত নয়; বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের ৯০ শতাংশ ভোটার সেদিন ভোট দিতে যাননি। হিসাব করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সচেতন ভোটারাও ভোট কেন্দ্রে যাননি। অর্থাৎ দেশের ৯০ ভাগ জনগণের নেতা এখন তারেক রহমান। পক্ষান্তরে ১০ ভাগ মানুষের নেতা শেখ হাসিনা।সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম’র ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ মন্তব্য করেন। এতে অংশ নেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৭ জানুয়ারি নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ বহাল রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপি’রা শপথ নিয়েছে। এখন দেশে শপথবদ্ধ ৬৪৮ জন এমপি রয়েছে। এটি সংবিধা",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701619, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, রাজপথ ছাড়বো না : মঈন খান," গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ‘আন্দোলনরত বিরোধী দল’ রাজপথ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের আয়োজিত গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই ঘোষণা দিলেন।তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ব্যাতিরেখে অন্য কোনো পদ্ধতি কোনোদিন চলবে না। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে, এটা আজকে শুধু আমরাই একথা বলছি না, সারা বিশ্বের মিডিয়া দেখুন, বিভিন্ন রাষ্ট্রের যে বক্তব্য এসেছে সেগুলো দেখুন ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে প্রত্যেকে স্পষ্টভাষায় আমরা বিরোধী বিরোধী গণতান্ত্রিক দলগুলো যে কথা বলে গিয়েছি বিগত কয়েক বছর ধরে… তারা এই কথার প্রতিধ্বনি করেছে বিগত প্রহসনের নির্বাচনের সময়।কাজেই আজকে এটা প্রতিষ্ঠিত দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত। আমাদের একটি মাত্র প্রতিজ্ঞা একটি মাত্র লক্ষ্য আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। ইনশাল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন চলতেই থাকবে… যতক্ষণ না আমরা বাংলাদেশের মানুষের মনের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র… সেই গণতন্ত্রের অধিকার যতক্ষণ না আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে পারব, আমরা ততক্ষণ রাজপথ ছাড়বো না।নাগরিক ঐক্যে প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরতার কর্মসূচিতে দেশের প্রতিটি মানুষ স্বাক্ষর করে এই সরকারকে আবারো প্রত্যাখান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মঈন খান।সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানী না : গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এই কর্মসূচি হয়। টেবিলে বিছানো কাপড়ে সর্বস্তরের মানুষজন ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে সই করছে।নাগরিক ঐক্যের এই গণস্বাক্ষরতা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা-উপজেলায় এবং",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/701635, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, মানিকগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব ও পরবর্তীকালে হামলা, হুমকি ও সহিংস কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে এক জোরালো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক বাসুদেব সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পালের সঞ্চালনায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পালিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট অসীম কুমার বিশ্বাস, মানিকগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টা ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি এডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, গুরুদাস রায়, মানিকগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কালিপদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশুতোষ রায়, জেলা পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি বাসুদেব গোস্বামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. রুহিদাস তরফদার, শিবালয় উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রথীন সাহা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুকুমার সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের সভাপতি সুব্রত ঘোষ সুভাষ, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন রাজবংশী, পৌর শাখার সভাপতি প্রভাষক শ্রীধাম মন্ডল দৌলতপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ ফৌজদার, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মানিক দাস, সিংগাইর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইতি সাহা এবং বিভিন্ন উপজেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় অবৈধভাবে দখলকৃত বলড়া আশ্রমের জায়গা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আলটিমেটাম দেন হিন্দু নেতৃবৃন্দ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701593, ভোরের কাগজ,২০ জানুয়ারি ২০২৪, সরকার দেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে হাস্যরসে পরিণত করেছে," ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে দেশকে হাস্য-রসে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে না এসে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অজ্ঞ ওবায়দুল কাদেররা এই দেশটাকে দোজখে পরিণত করেছে। আমরা তো সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছি। আপনারা তো সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখেছেন। দেশের সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখে একটি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে দেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে হাস্য-রসে পরিণত করেছেন। আমরা যদি সার্বভৌমত্ব বন্দক রাখতাম প্রভুদের কথা শুনতাম নিজেদের শক্তি বলে আন্দোলন করতাম না। এ দেশের জনগণ আমাদের শক্তি তাদের ভরেই আমরা রাজনীতি করছি। কোন প্রভুদের ভরে নয়। যারা প্রভু রাষ্ট্রের ভরে রাজনীতি করে তারাই এ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে।শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে আমরা চলছি যার কারণে দুর্নীতিবাজ সরকারের নির্যাতনের মধ্যেও আমাদের আন্দোলন চলমান। এই ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ সরকার আমাদের দলের পুরুষ নেতাকর্মীদের ওপর জেল জুলুম অত্যাচার তো করছেই সেই সাথে আমাদের নারী নেত্রীদের ওপর ও জুলুম অত্যাচার করছে এর মধ্যেও আমাদের নারী নেত্রীরা পুরুষ নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, আজ আমরা নদীর পানি আনতে পারি না। টিপাই মুখ বাঁধ পদ্মাবাধ আটক করে রেখেছে। আপনার (আওয়ামী লীগ) কথা বলতে পারেন না। কারণ আপনারা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করা লোক। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে একদলীয় কর্তৃবাদ হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) আজ নিজেকে সম্রাট হিসেবে পরিণত করেছে তার কথায় তার ইশারায় দেশ চলছে। এর মধ্যেও আমাদের এখানে যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য জীবনকে বাজিয়ে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জীবন চলে যাবে তারপরও বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি এজরা দিতে দেবো না আমরা। এটাই হচ্ছে বিএনপি।কারণ এই শিক্ষাটাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র এই তিনটি সুরক্ষার বাণী শুনিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাণী শুনিয়েছিলেন বলেই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত দ্বারা তাকে হত্যা করা হয়েছে।তিনি বলেন, অকুতোভয় দেশপ্রেমী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে পতাকা সেই পতাকা হাতে তুলেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । এই অবৈধ সরকার তাকে জেলে ভরে নিপীড়ন নির্যাতন করছে। তিনি এখন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারপরও তার সাথে আপোশ করা যায়নি। তিনি আপোশ হননি তার মাথা নোয়াতে পারেনি। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার বড় প্রমাণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার।এ সময় বিএনপি'র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সহ-মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701499, ভোরের কাগজ,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এই নির্বাচন নিয়ে দেশটির অবস্থান পরিবর্তন না করে তারা ফের বলছে, 'নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি'।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে খর্ব করে এবং বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রেখে রিপোর্ট অনুসারে যে জাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র? নির্বাচন নিয়ে আপনার দেয়া বিবৃতিতেই উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু এর কোনোটাই হয়নি।'উত্তরে মিলার বলেন, 'বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে যেভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে এখনও আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি নির্বাচনে যেভাবে কারচুপি হয়েছে তা নিয়েও আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্যদের মতো নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।'এসময় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ জানিয়ে মিলার বলেন, 'নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে আমরা এর নিন্দা জানাই। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাবো, তারা যেনো সহিংসতা পরিহার করে।'",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701368, ভোরের কাগজ,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র," মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ওয়াশিংটন আগামী দিনে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদের সঙ্গে পিটার হাসের প্রথম বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী মাসগুলোতে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে (বাংলাদেশের সাথে) ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।’রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কীভাবে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে সে বিষয়ে নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে তার সূচনা বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যত ও কীভাবে আমরা পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- যেমন ব্যবসার সুযোগ সম্প্রসারণ ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে কথা বলেছি।’উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের একাংশ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোট ‘সুষ্ঠু হয়নি’ বলে বিবৃতিতে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।ভোটের পর দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজারো সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্বাচনের অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি এবং সব দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ।” এর আগে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701312, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশ নিয়ে যে প্রশ্ন করায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘের মুখপাত্র," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপির সন্ত্রাস কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ হয়েছে বলে তথ্য দেন। অন্যদিকে বিএনপি ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমের’ মধ্য দিয়ে নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় দৃশ্যত ক্ষুব্ধ হন স্টিফেন ডুজাররিক। তিনি জবাবে বলেন, কি ঘটেছে আমার সেটা জানার প্রয়োজন নেই। আপনার প্রশ্নটা কি? আবার ওই সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন করা শুরু করেন। তিনি এবারো বিএনপি নির্বাচনকালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে বলে উল্লেখ করতে থাকেন। আবারো স্টিফেন ডুজাররিক তার ওপর বিরক্ত হন। ডুজাররিক আবার তাকে প্রশ্ন করেন- দয়া করে আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করবেন? এবার আবারো একইভাবে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চান।প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার একজন সহকর্মী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন। আমি আগে যা বলেছি এখনো তাই বলবো। তা হলো সব দলের প্রতি সব রকম সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানাই। মানবাধিকার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। ওই সাংবাদিক আবারো প্রশ্ন করেন যাত্রী বোঝাই বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার বিষয়ে জাতিসংঘ কি নিন্দা জানাবে না, যেখানে মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে? এর জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, যেই করুক কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় না জাতিসংঘ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701224, ভোরের কাগজ,১৫ জানুয়ারি ২০২৪, প্রকাশ্যে ভোটদান কাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন ধর্মমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসনে প্রকাশ্যে ভোটদানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। ব্যাখ্যা প্রদান শেষে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস গুরুতর কোনো অপরাধ যদি না থাকে তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছি।সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অভিযোগের বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা দেন।ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার সংবিধান রেখেছে। আইন রেখেছে এবং আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি, আমার কথা বলেছি। ইসি কী বলেছে জানতে চাইলে উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কমিশন বলেছে বিষয়টি দেখবে।আওয়ামী লীগ ধর্মমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।গত ১১ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামালপুর-২ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট প্রদানের খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ উল্লেখ করে ইসি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ মর্মে জামালপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে তলব করা হয়।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/701270, ভোরের কাগজ,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে হেরে মমতাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস," আমার অর্জন ও সুনাম যারা কোনদিনই সহ্য করতে পারেনি তবুও তাদেরকে আমি সাধ্যমত সহযোগিতা ও সম্মান করে আসছি কিন্তু তারা ঠিকই সুযোগ বুঝে আমাকে টেনে হেছরে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম তার নিজ ফেসবুক পেজ ‘Momotaz Begom’ থেকে আবেগঘন এ স্ট্যাটাস দেন । মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।মানিকগঞ্জ-২ আসনের টানা দুইবার জাতীয় সংসদের সদস্য ও একবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন এই কণ্ঠশিল্পী।নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর নিজের সুনাম ও খ্যাতি নষ্ট করার জন্য স্বার্থপর কিছু মানুষের মিথ্যা অপবাদ ও অত্যাচার সহ্যের কথা জানিয়ে যে স্ট্যাটাসটি দেন তা এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো- নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা-বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে।আমার এই অর্জনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদেরকে সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধুমাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করো।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা সহমর্মিতা ও সাহস যুগিয়ে ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন । উল্লেখ্য, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে ৬ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ বেগম পান ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701018, ভোরের কাগজ,১৩ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি," বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বিবৃতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক—কোনোটিই হয়নি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসমূহ ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড মেনে এই নির্বাচন হয়েছে কি না, সে বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। যৌথ বিবৃতি দেয়া সংগঠনগুলো হলো- এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।সংগঠনগুলো বলেছে, এমন বহু খবর ও তথ্য-প্রমাণ আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেয়। এরমধ্যে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ এবং ভোটের ফলাফলে কারচুপির মতো বিষয়ও রয়েছে। এগুলো গুরুতরভাবে গণতন্ত্রের মূল নীতিসমূহ ক্ষুণ্ন করে। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ এবং রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। ভয় দেখানো, পরোয়ানা ছাড়া হয়রানি, মিথ্যা অভিযোগে বহু মানুষকে আটক এবং বিরোধী রাজনীতিক ও তাঁদের সমর্থকদের ওপর পরিচালিত সহিংসতা একটি বিশৃঙ্খল নির্বাচনী পরিবেশের চিত্র দেয়—যা কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের কারণেই সম্ভব হয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোদেশজুড়ে বিরোধী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ধারপাকড় করে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু সরকারপন্থী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্ষিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বিরোধী নেতা-কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এসব মৌলিক অধিকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সীমিত রাখা হয়েছিল।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চসহ প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পক্ষপাতমূলক অবস্থান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট পক্ষপাত এবং বিরোধী নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। একই ধরনের উদ্বেগ ও বিষয়াবলির কারণে প্রার্থী একটি বড় অংশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।অধিকন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই বহু অনিয়মের খবর রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা জোরজবরদস্তি, বলপ্রয়োগ বা ভয়ভীতি দেখিয়ে বুথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভোটদান প্রক্রিয়া নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিচালিত করে বিশেষ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিতে গেছে। এ ছাড়া ব্যালটে সিল মারা, ভুয়া ভোট নেওয়া এবং এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ানোর জন্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভাড়া করা হয়। নির্বাচন কমিশন ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে থেকে যেসব খবর পাওয়া গেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা যেসব তথ্য দিয়েছেন, তাতে ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়।যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানুষ এমন একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া পাওয়ার অধিকারী, যেটা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক হবে এবং যে নির্বাচনের মাধ্যমে সম্মিলিতের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, যে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি সব শ্রদ্ধা ও আস্থা রাখবে। একটি অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। আর এই নির্বাচন হতে হবে সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ও একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে।’শুধু রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে যাঁদের সাজানো মামলায় কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে, সেই সব ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। এছাড়া নাগরিক সমাজ যাতে ঠিকমতো কাজ করতে পারে, এমন পরিবেশ সৃষ্টি, যেখানে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, একত্র হওয়ার ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/701123, ভোরের কাগজ,১৪ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন করে নির্বাচন দাবি মামা বাড়ির আবদার," বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।নতুন সরকারের সামনে কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সবক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ আছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। তবে আমি মনে করি কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়।কাদের বলেন, আমরা যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে যে এ শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এখনো আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখব। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।মন্ত্রিসভায় দেশি বিদেশি চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশি বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চাপ বিদেশ থেকে আছে। দেশে তো আছেই। আমরা সব চাপ মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখি। আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারবেনা। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক চাপও রয়েছে। এগুলোকে ভয় পেলে হবে না। আজকাল আমাদের গ্রামীণ বাজার পর্যন্ত ভরপুর খাদ্য সামগ্রী, ফলমূল সব আছে। সীমান্তেও একই অবস্থা। কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানুষ যাতে সহজে দ্রব্য কিনতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা জোর দেব।বিরোধী দলের প্রতি বার্তা দিতে চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকব না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধী দলের যারা আছে তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701764, ভোরের কাগজ,২২ জানুয়ারি ২০২৪, ভঙ্গুর অজুহাতে নেতাদের বহিষ্কার করা দুঃখজনক," জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যেসব নেতাকর্মী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি দেয়া অতীব দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ভঙ্গুর অজুহাত তুলে দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো নিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি। রওশন এরশাদ বলেন, যেই মুহূর্তে প্রয়োজন সব স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচনে বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে শক্তিশালী করা, সেই মুহূর্তে নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের দল থেকে বের করে দিয়ে দলকে ন্যাপ মোজাফ্ফর, ন্যাপ ভাসানী ও মুসলিম লীগে রূপান্তরের সামিল। তাই অনতিবিলম্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার সব প্রয়াস নেয়ার জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান তিনি। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে অব্যাহতি-প্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের দলে ফিরিয়ে এনে স্ব-স্ব পদে বহালের আহবান জানান তিনি। ",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701777, ভোরের কাগজ,২২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে কিছু আঁতেল ধুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে," দেশের মানুষ এবারের নির্বাচন গ্রহণ করেছে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দেশে-বিদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু কিছু আঁতেল নির্বাচন নিয়ে ধুম্ররজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ভরা মৌসুমে চালের দাম কেন বাড়ছে, এমন প্রশ্ন রেখে এর পেছনের চক্রটিকে খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেন তিনি।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য এবারের নির্বাচন জরুরি ছিলো। তিনি বলেন, ভোট হতে দেবে না, ভোটকেন্দ্রে যেতে দেবে না, এমন হুমকির মধ্যেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করা না করার সিদ্ধান্ত নির্ভর করে রাজনৈতিক দলের ওপর। এ দেশের মানুষ এবারের ভোটগ্রহণ করেছে। হ্যাঁ এই নির্বাচন অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু মানুষ তো ভোট দিয়েছে। অথচ কিছু আঁতেল ভোট নিয়ে ধুম্রজাল তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে।অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটের পর হঠাৎ দেখলাম বাজারে চালের দাম বেড়ে গেল। ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বেড়ে গেল, এই চক্রকে খুঁজে বের করা হবে। অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক কোনো মজুত পাওয়া গেলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ওদেরকে জেলে দেয়া হবে। মজুতদারদের রুখতে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মজুতদারি করে কেউ যাতে মানুষের খাবার নিয়ে খবরদারি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জানাতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি অন্যভাবে কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা সরকারের শুভফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d189a76d518, আমাদের সময়,১৮ জানুয়ারি ২০২৪, একপাক্ষিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘একপাক্ষিক ও পাতানো’ ছিল অভিযোগ করে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টরন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়া এবং মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করে জার্মানভিত্তিক এই দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। গতকাল বুধবার সকালেরাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশিরভাগ আসনেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি মন্তব্য করে প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৪১টি আসনেই প্রকৃত অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভোটের দিন সারাদেশে অধিকাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি, বিভিন্ন আসনে অন্য দলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্য সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করেছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।আসন ভাগাভাগি ও সমঝোতার পাশাপাশি প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখা- দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা ভেঙে নিজ দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেশি ছিল। ২৬৬ জন দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র ২৬৯ জন।প্রতিবেদনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। যা গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি এবং এ বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানকেন্দ্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জিম্মিদশা প্রকটতর হয়েছে।ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদ-ে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। নির্বাচনের নামে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের দীর্ঘকাল যাবৎ চলমান সংস্কৃতির রাজনৈতিক আদর্শের যে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা, সাজেদুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তারা জানান, এটা ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদন। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। গবেষণায় ৫০টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সব বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d1c242791, আমাদের সময়,১৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা কমে গেছে: সিইসি," নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায়’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের সহায়তা ছাড়া এতো বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। উদ্বেগ, সংকট থেকে জাতি উঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়। একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমে গেছে।’নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সে স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারব না। আমরা দেখিয়ে দেব, কীভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি, মান-সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।’নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা এবং সরকার, সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করেছে। সকলের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হতো।’নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ছিলাম অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d16604bd9, আমাদের সময়,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি: টিআইবি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্রাকিং’শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে টিআইবি।আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা ও সাজেদুল ইসলাম।প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।সংস্থাটির মতে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি।গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।টিআইবি জানায়, এটি ছিল নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদন। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। গবেষণায় ৫০টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d16d4216c, আমাদের সময়,১৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন সার্বিকভাবে সুষ্ঠু হয়নি: জাপা মহাসচিব," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সার্বিকভাবে সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।নির্বাচনে জাপার সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলো তুলে ধরে দলের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো ট্র্যাক চেঞ্জ করিনি। যেহেতু এখন পার্লামেন্টে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচনে আমাদের অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন মহল যারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে নির্বাচনটা ফেয়ার (সুষ্ঠু) হবে, তারা কথা রাখেনি। আমাদের ময়মনসিংহের প্রার্থী ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছেন। পাস করেছেন (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) ৫১ হাজার ভোটে।’মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তিনিই (জাপার প্রার্থী) বলেছেন, ২টার পরে অনেক কেন্দ্রেই প্রিসাইডিং অফিসার নিজে সিল মেরেছেন এবং এটা তার কাছে প্রুফও আছে। তিনি এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দিয়েছেন, এ ধরনের কাজ অনেক জায়গায় হয়েছে। আমার এলাকায় হয়তো বা ফেয়ার হয়েছে, এটা আমার কারণে হোক বা যেভাবেই হোক। কিন্তু অনেক জায়গায় ফেয়ার হয়নি। যার জন্য আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাইনি।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। কিছু কিছু জায়গায় ফেয়ার হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আনফেয়ার হয়েছে। এখানে সরকারের লোকেরাই জড়িত ছিল।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাপা জনগণের কথা তুলে ধরবে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলেও জনগণের পক্ষে সংসদে উচ্চস্বরেই কথা বলব। সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য সংসদে যা যা করা দরকার, আমরা তাই তাই করব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d0dfa186d5, আমাদের সময়,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা হারাবেন নেতানিয়াহু," ইসরায়েলের আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে পারেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একটি জরিপের বরাত দিয়ে সোমবার এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। চ্যানেল ফোরটির একটি মতামত জরিপে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে নেতানিয়াহুর শাসক জোট ৫৬টি আসনে ভোট পেয়েছেন যেখানে বিরোধীরা পেয়েছেন ৬৪টি আসন।পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে মর্যাদা রয়েছে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির। তবে এবার সেই মর্যাদা হারাতে যাচ্ছে দলটি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d10a36349 , আমাদের সময়,১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ফের জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন," জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় সোমবার সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সব ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান, সব মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সম্মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।নির্বাচনের সময় বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আগে যা বলেছি তা আবারও পুনরাবৃত্তি করব- আমরা দলগুলোকে সব ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করতে ও সব মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সম্মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’অপর এক প্রশ্নে নির্বাচনের আগে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিই না তা নির্বিশেষে যেই করুক না কেন।’এর আগে গত ৯ জানুয়ারি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন।ওইদিন স্টিফেন ডুজারিকের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান- নির্বাচনের নামে শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া দমনপীড়নের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের জনগণ। নিষ্পেষিত এবং ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে সব বড় রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন, ভোট জালিয়াতি, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন হয়েছে।তার এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আগেই আমি বলেছি মহাসচিব একেবারে প্রকাশ্যে সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সব রকম সহিংসতা বন্ধ ও প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ সম্মান নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এটা অত্যাবশ্যক। আমরা যেসব সহিংসতা দেখেছি, তাতে অবশ্যই উদ্বিগ্ন মহাসচিব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d117a5541, আমাদের সময়,১৬ জানুয়ারি ২০২৪," আমাদের নির্বাচন কমিশনের চোখ নাই, কানেও কম শোনে: ব্যারিস্টার খোকন"," বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে এটি কোন নির্বাচনই হয়নি। ২ শতাংশ ভোট দিয়েছে, ৯৮ শতাংশ এটা বর্জন করেছে। সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। নির্বাচন কমিশনকে পোষা একটা সংগঠনের মত ব্যবহার করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ওই পরাজিত আওয়ামী লীগ নেতারা, স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বলছে কিভাবে ভোট কারচুপি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কি অন্ধ? তারা অন্ধ হয়ে বসে আছে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের চোখ নাই। তারা কানে কম শোনে, চোখেও কম দেখে।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। এই যে শপথ নিয়ে নিছে, কিভাবে শপথ নিলেন? সংবিধানে এর বৈধতা কোথায়? পূর্বের অবৈধ রাতের তিনশ’ এমপি, নতুন করে শপথ নিয়েছে আরও তিনশ’, এখন তো ছয়শ’ এমপি হয়ে গেলো। মেয়াদ শেষের ১৯ দিন আগে শপথ পড়ালেন কিভাবে?’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d10a36349 , আমাদের সময়,১৫ জানুয়ারি ২০২৪,ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে: মাহবুব," বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে। তারা ভাগাভাগি করে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে। এসব করে কোনো লাভ হবে না, সরকার পার পাবে না।’আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) উদ্যোগে এ আলোচনাসভায় আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুব। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘১৫ বছর এভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তারা ধ্বংস করে একতরফা সাজানো নির্বাচন করেছে। এবার তারা একতরফা ভাগাভাগির নির্বাচনের পথে হাঁটছে। জনসমর্থন ‘না থাকায়’ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চায় না। প্রতিদিন গণমাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারার খবর প্রকাশ হচ্ছে। কতটা দেউলিয়া হলে আওয়ামী লীগের মত একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল আজকে এই ধরনের ভাগাভাগি নির্বাচনের নীলনকশা ধরে এগোচ্ছে।’কৌশল করে টিকে থাকা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যত কৌশল করুক না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে চলে যেতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন; বিএনপির আন্দোলন নয়, গণঅধিকার পরিষদের আন্দোলন নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের একক আন্দোলন নয়। এটা ভোটাধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন।’তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। এই নির্বাচন করে তারা শেষ রক্ষা পাবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো স্বৈরাচারই টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবে না।’আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d1dbc51889, আমাদের সময়,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা কমে গেছে জনগণের ," নির্বাচনব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। উদ্বেগ, সংকট থেকে জাতি উঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে, তা হলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। গতকাল নির্বাচন ভবনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায়’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়, একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন সম্পন্ন করায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে নির্বাচনব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমে গেছে।ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ইমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সেখান থেকে নামতে পারব না। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, একটা ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম, না পারলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হতো। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ় ছিলাম- অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d1fc5c623, আমাদের সময়,১৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এই নির্বাচন নিয়ে দেশটির অবস্থান পরিবর্তন না করে তারা ফের বলছে, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে খর্ব করে এবং বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রেখে রিপোর্ট অনুসারে যে জাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র? নির্বাচন নিয়ে আপনার দেয়া বিবৃতিতেই উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু এর কোনোটাই হয়নি।’উত্তরে মিলার বলেন, ‘বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে যেভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে এখনও আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি নির্বাচনে যেভাবে কারচুপি হয়েছে তা নিয়েও আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্যদের মতো নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।’এসময় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ জানিয়ে মিলার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে আমরা এর নিন্দা জানাই। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাবো, তারা যেনো সহিংসতা পরিহার করে।’এর পর অন্য এক প্রশ্নে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়— যখন আপনারা বলছেন, বাংলাদেশে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? জবাবে ম্যাথিউ মিলার ইংরেজিতে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তা হলো—‘নো, নো’।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cff8c59182, আমাদের সময়,১৩ জানুয়ারি ২০২৪,বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবি," বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বিবৃতিতে রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি।বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো- এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেনপার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস),ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যানরাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)। গতকাল শুক্রবার এই যৌথ বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনগুলো।যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন বহু খবর ও তথ্য-প্রমাণ আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেয়। এর মধ্যে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ এবং ভোটের ফলাফলে কারচুপির মতো বিষয়ও রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ এবং রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু সরকারপন্থি দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্ষিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বিরোধী নেতাকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এসব মৌলিক অধিকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সীমিত রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চসহ প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পক্ষপাতমূলক অবস্থান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট পক্ষপাত এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।নির্বাচন কমিশন ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একটি অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cfe4124f5, আমাদের সময়,১২ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন ‘বাইরে থেকে’ প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বাইরে থেকে’ প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলা হয়। আজ শুক্রবার বিবৃতিটি ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।বিবৃতিতে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশের জনগণকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। তবে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল দুঃখজনকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। বাইরে থেকেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর এবং ১৫ ডিসেম্বরও বিষয়টি উল্লেখ করেছি। ’তিনি বলেন, ‘কিছু দলের বর্জন ও বিদেশ থেকে হস্তক্ষেপ করার পরিস্থিতিতে ভোটারদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করা উচিত। রাশিয়াসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ওই নির্বাচনের বৈধতা ও গৃহীত মান পূরণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ’রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনা আগেও এই পদে ছিলেন।’তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রুশ ফেডারেশন সরকারের চেয়ারম্যান মিখাইল মিশুস্টিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cedff7418, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,"নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল, ফাঁস করেছেন ইসি সচিব: রিজভী"," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল যে পূর্বনির্ধারিত ছিল, তা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব ফাঁস করে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলমের আলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল যে পূর্বনির্ধারিত তা প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম গত রবিবার রাতে ফলাফল ঘোষণার সময় মিডিয়ার মাইক্রোফোন অন রেখে আওয়ামী দলদাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করার সময় ফাঁস করে দিয়েছেন। যা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা দেশের জনগণ দেখেছেন।’রুহুল কবির রিজভী বলেন,‘সেখানে মঞ্চে পাশে বসা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে আলাপের সময় ইসি সচিবকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যেয়ে ঘুমাইয়া যামুগা। এখানে বসে থেকে লাভ আছে? সবাই রেজাল্ট জানে। ৬৪ ডিসিদের মেসেজ আছে। ৬৪টা জেলার রেজাল্ট কি হবে সবাই জানে। পড়ে চলে যামুগা। ডিসিরা পাঠাইছে না। সব আছে। আমার কাছে আছেত।’’ এ সময় পাশে থাকা কর্মকর্তা ইসি সচিবের কানে কানে ফলাফল নিয়ে কিছু বলছিলেন। তখন ইসি সচিব বলেন- ‘‘বিতর্কিত বানাইয়া ফালাইছে”।’তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘‘সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।” এই নির্বাচন সরকারের নিয়ন্ত্রণেই হয়েছে। যেখানে তাদের প্রার্থীকে জেতাতে চেয়েছে, সেখানে তারা সেই ব্যবস্থা নিয়েছে।অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর নাটক করতে, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে নকল দল তথাকথিত কুইন্স পার্টি, ভূইঁফোড় পার্টি, ড্রিঙ্কস পার্টি, ছিন্নমূল পার্টি এবং খুচরা কিছু পার্টি, উচ্ছিষ্টভোজী জোট, গৃহপালিত বিরোধীদলকে এমপি বানানোর মূলার প্রলোভন দেখিয়ে নির্বাচনে এনেছিল। শেখ হাসিনা তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার পর এখন তারা গাল ফুলিয়ে প্রকাশ্যে কিভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তার সরল সত্য গল্প বলে হা হুতাশ করে বেড়াচ্ছেন।’রুহুল কবির রিজভী বলেন,‘৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে জনগণের অভাবনীয়-অভূতপূর্ব নীরব প্রতিবাদে একটি উদ্ভট, গণবর্জিত প্রহসনের প্রকাশ্য অটো ভোট ডাকাতির মঞ্চায়ন দেখল দেশবাসীসহ গোটা বিশ্বের মানুষ।’তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি গভীর রাত থেকে চুরি-ডাকাতি, জালভোট, শিশু কিশোর ভোট, রাস্তা থেকে পথিক ধরে নিয়ে ভোট, একই ব্যক্তির ৫০ ভোট, মিনিটে ৫০ ভোট, একই লাইন থেকে ঘুরেফিরে বারবার জাল ভোট দিয়েও বিকেল তিনটা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দিয়ে গণভবনের চাপে আবার এক ঘণ্টা পরেই ৪০ শতাংশ এবং গতকাল দুপুরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোটের গোঁজামিলের ভৌতিক হিসাব বানানোর এই ভুয়া হাস্যকর নির্বাচন ভোটের ইতিহাসে কলঙ্ক তিলক উৎকীর্ণ করল ডামি সরকার।’রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই অংশগ্রহণহীন ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে। বিশ্বের সমস্ত মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষকরা এই নির্বাচনকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও ভোটার সম্পর্কহীন পুরোপুরি ‘ওয়ান উয়োম্যান শো’-এর ঘোষিত জয়-পরাজয়ের ভোট বলে আখ্যায়িত করেছে। পাতানো ডামি নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়নি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। সারাদেশের ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। শেখ হাসিনার এই প্রহসনমূলক নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক জেজ কৌলসন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আই ফাউন্ড দ্য নর্থ কোরিয়া মডেল হিয়ার।” বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়া স্টাইলের একদলীয় নির্বাচন হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের অসংখ্য ভিডিও দেখেছি। অগণিত ছবি দেখেছি। অনেকগুলো রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছি। তাতে প্রকৃত ভোট প্রদান শতকরা হারের মধ্যেই পড়বে না। ভোট ডাকাত সরকার ভোট প্রদানের পার্সেনটিস যতই বাড়িয়ে বলুক এটা এখন জনগণের কাছে হাস্যকর হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ডামি সরকার দিয়ে দেশ চলতে পারে না।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণ বিএনপির কাছ থেকেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব আশা করে। সুতরাং, আপনারা নিজ নিজ সাংগঠনিক এলাকায় গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন। চলমান আন্দোলন সফল করতে হলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cec41f8ad, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।একই সঙ্গে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে দেশটি। গতকাল সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন।পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’বিবৃতিতে নির্বাচনের সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহিংসতার গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে সব দলের প্রতি সহিংসতাকে পরিহার করারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cec47b990, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি: যুক্তরাজ্য," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলেও অভিমত যুক্তরাজ্যের।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড যথাযথভাবে মানা হয়নি। এছাড়া নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না।বিবৃতিতে ভোটের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় উদ্বেগ উল্লেখ করা হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সহিংসতা ও ভয়ভীতি দেখানোর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় যুক্তরাজ্য। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সুশীল সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। এছাড়া বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মতভিন্নতা দূর করার আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য।এদিকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও মত দিয়েছে দেশটি।ওয়াশিংটন স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান জানিয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cecbc8b9d, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, দলীয় নির্বাচনেও আ. লীগ একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে: রিজভী," গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচন হলেও নিজ দলের একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ সব কথা বলেন।এ সময় রিজভী বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক দলীয় নির্বাচন বর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা-আর মামুরা মিলে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। এটি একটি দলের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের দিন সকাল ১০টার মধ্যে ইসি সচিব বলেন, কারা এমপি হবেন তা ঠিক করা আছে। তবুও এই নির্বাচনে তারা নিজেরা মারামারি ও সহিংসতা ঘটিয়েছে। একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে। এভাবে মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার।’বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে নির্বাচন বর্জন করায় দেশবাসী ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী। এ সময় পথচারী, রিকশাচালক ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচবি।গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও প্রহসন আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। এই দাবিতে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার দুদিন গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।আজ প্রথম দিনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণে আরও অংশ নেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য এইচএম আবু সাঈদ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা কাজী মনজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিকসহ নেতৃবৃন্দ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cea24afff8, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না : জিএম কাদের," জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সার্বিকভাবে নির্বাচন ভালোভাবে হয়নি, সুষ্ঠু হয়নি। আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম, শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। সরকার আমাদের যে কথা দিয়েছিল, সেই কথা রাখেনি। সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হয়েছে। সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে তাদের লোকজনকে জেতাতে চেয়েছে, সেখানে তারা আমাদের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর করে সিল মেরে হারিয়ে দিয়েছে।এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর স্কাইভিউ নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান ।জিএম কাদের বলেন, আমরা নির্বাচনের দিন অসহায় ছিলাম। সকাল থেকেই বিভিন্ন আসনের সমস্যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সমাধানের কথা বললেও সমাধান হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারসহ প্রশাসন তাদের পক্ষে কাজ করেছে। ঢাকা-১ আসনে জোর করে সিল মেরে সালমা ইসলামকে হারিয়ে দিয়েছে। কুমিল্লা-১ আসনে আমির হোসেন ভূইয়া, জামালপুর-৩ আসনে সামসুল ইসলাম লিপ্টন, নরসিংদী-২ আসনে রফিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট-৩ আসনে জাহিদ হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে মইনুল রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসন, রংপুর-৪ ও ৬ আসনে আমাদের লোককে বের করে সিল মেরে জোর করে হারিয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। এই সব আসনে আমরা প্রশাসন কিংবা নির্বাচন কমিশনের কোনো সহযোগিতা পাইনি। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আমরা এসব আসনে জয়ী হয়ে আসতাম।দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন কী? সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যেখানে ছিল সেখানেই আছে। আমাদের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র হয়, আমরা সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাব।নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কিনা- উত্তরে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল না সঠিক ছিল এখনই বলা যাবে না। সেটা সময়ই বলে দেবে। সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।এরপর জিএম কাদের জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়াসহ অন্য নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce8afd958, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪," নতুন নির্বাচনের দাবি বিএনপির, ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরের দিন বুধবার দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।ড. মঈন খান বলেন, ‘দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, এ জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকত মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসত।’৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘প্রথমে বলা হলো ২৭ দশমিক ১৫ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে। টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে।’তিনি বলেন, ‘জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।’আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce7cd1e88, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া," নির্বাচন নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘জনগণ গতকাল ভোট বর্জন করে এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বর্তমান সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এবং সর্ব শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব কিছুই হচ্ছে ভুয়া।’আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ গতকাল এই সরকারকে বর্জন করেছে। তারা শুধু ভোট বর্জন করেনি, গতকাল তারা যে কাজটি করেছে তারা বিদ্যমান আওয়ামী লীগের এই একদলীয় বাকশাল সরকারকে বর্জন করেছে।’সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছেন ভোটের কেন্দ্রের সামনে কৃত্রিম লাইন তৈরি করা হয়েছে। স্কুল ছাত্র, এমনকি শিশুরাও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব আমরা দেখতে পেরেছি। সুতারাং এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে বর্তমান একদলীয় বাকশালি সরকারের অধিনে কোন ভাবেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে, ভোট ডাকাতি আর ভোট জালিয়াতি।’তিনি জানান, ডামি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি ও সমমনা দল।নতুন করে বড় কোনো কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপি গণসংযোগ অব্যাহত রাখবে এবং জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করবে বলে জানান তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce7f35fde , আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না: জি এম কাদের," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হয়েছে।’আজ সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর স্কাইভিউ নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের দিন অসহায় ছিলাম। সকাল থেকেই বিভিন্ন আসনে সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশনকে কিন্তু সমাধানের কথা বললেও সমাধান হয়নি। প্রিজাইডিং অফিসারসহ প্রশাসন তাদের পক্ষে কাজ করেছে। ঢাকা-১ আসনে জোর করে সিল মেরে সালমা ইসলামকে হারিয়ে দিয়েছে। কুমিল্লা-১ আসনে আমির হোসেন ভুইয়া, জামালপুর-৩ আসনে সামসুল ইসলাম লিপ্টন, নরসিংদী-২ আসনে রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার-৪, লালমনিরহাট-৩ জাহিদ হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে মইনুল রাব্বী, নারায়নগঞ্জ-১ আসন, রংপুরের-৪ ও ৬ আসনে আমাদের লোককে মেরে সিল মেরে জোর করে নিয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। এইসব আসনে আমরা প্রশাসনের কিংবা নির্বাচন কমিশনের কোন সহযোগিতা পাইনি। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আমরা এসব আসনে জয়ী হয়ে আসতাম।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেইনি এই কথা আমরা অনেক আগে থেকেই বলছি। সরকার তাদের মিডিয়া দিয়ে জোটের কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে। সরকার সমঝোতার কথা বলে, ২৬ আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সেই সব আসনে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে, তাদের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা এজন্যই বলেছি, আমরা কোন জোটে বা সমঝোতায় নির্বাচনে অংশ নেইনি।’দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন কি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যেখানে ছিল সেখানেই আছে। আমাদের বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয়, আমরা সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবো ‘জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল কি শুদ্ধ এখনই এটি মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে তারপরই আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারব। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন ভালো হয়নি। যেমন আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে, সরকার যেখানে যাকে জিতাতে চেয়েছেন সেটিই করেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘লোকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। যারা ভোট দিতে এসেছে তাদেরকে অনেক সময় বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে যেসব জায়গায় ভোট হয়নি, ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে, বাকি জায়গায় ব্যালটে ছিল মেরে নেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।’এখন পর্যন্ত সংসদে যাব কি না এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce52bc56e6, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর নির্বাচন প্রত্যাখ্যান," নড়াইল-২ আসনে জালভোট ও কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান। গতকাল দুপুর ২টায় নড়াইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচন ও ফল প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে হাতুড়ি প্রতীকের এই প্রার্থী একই অভিযোগ এনে টেলিফোনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।এর আগে, কমনওয়েলথের একটি (বিদেশি) পর্যবেক্ষক দল নড়াইলের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এদিকে, এদিন সকাল ১১টার দিকে শহরের নড়াইল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাসহ সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce53042e18 , আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন স্থগিত চান স্বতন্ত্র প্রার্থী," বরিশাল-৫ (সিটি-সদর) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর ১টায় সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি দাবি জানান।তিনি বলেন, ভোটের পরিস্থিতি কেন্দ্র দেখেই বোঝা যাচ্ছে একেবারে জনমানব শূন্য। সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর আমাদের নেতা আরেফিন মোল্লার বাড়িতে হামলা চালনো হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে জালভোট দেওয়া হচ্ছে, কোথাও সিল মারা হচ্ছে, কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকার সমর্থকরা এটা করছে। প্রশাসনের লোক গেলে বন্ধ থাকলেও তারা চলে গেলে আবার শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের একাধিক কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আহ্বান জানাব, যেন দ্রুতসময়ে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হয়। যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ করা করা যায়। ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলে বারবার আশ্বাস দিলেও তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। বরিশাল সরকারি কলেজ কেন্দ্রে একজনও ভোটর নেই। এটাই প্রমাণ করে নির্বাচনে কতটা মানুষকে বিমুখ করা হয়েছে। এখানে যারা আছে তারা সম্পূর্ণ একটি দলের সমর্থক, নেতাকর্মী; সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রণ নেই।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce5233ae316, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ," ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দল ও জোট। গতকাল রবিবার পৃথক সমাবেশ ও বিবৃতিতে তারা এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে পাঁচ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, চার দলীয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি। একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং আমার বাংলাদেশ পার্টিও (এবি পার্টি)। ভোট বর্জন করায় দলগুলো জনগণকে ধন্যবাদ জানায়।গণতন্ত্র মঞ্চ : গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণমঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটি ছিল ডামি নির্বাচন, ডামি ভোটের নির্বাচন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই। এটা একটি ভোটার ছাড়া নির্বাচনহয়ে গেল। ভয়ভীতি, গ্রেপ্তার চালিয়ে কোনো লাভ হয়নি। ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি। মিডিয়াতে ভোটকেন্দ্রগুলোর যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে এটা পরিষ্কার যে, জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামীতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।মঞ্চের আরেক নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দেয়নি। এই ডামি নির্বাচন বর্জনের ডাকে জনগণ সাড়া দিয়েছে। সরকারের নাশকতা ও উসকানি মোকাবিলা করে তারা ভোট বর্জন করেছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ মনে করে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সে কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জবাব দিয়েছে।জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।জামায়াতে ইসলামী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে এবং অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) এক বিবৃতিতে বলেন, একতরফা অবৈধ প্রহসনের নির্বাচন জনগণ সর্বাত্মকভাবে বর্জনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে একটি ম্যাসেজ দিয়েছে। ভোট বর্জন করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেওয়ায় দেশপ্রেমিক জনগণকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি বলেন, ভোট বর্জনের মাধ্যমে সচেতন দেশবাসী স্বৈরাচার সরকারকে লালকার্ড দেখিয়ে প্রমাণ করল দলীয় সরকারের পাতানো তথাকথিত এ নির্বাচনের নাটক শুধু দেখতেই চায় না, বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।১২ দলীয় জোট : গতকাল রবিবার রাজধানীতে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ভোট বর্জন করায় দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ১২ দলীয় জোটের নেতারা।এ সময় বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce3ef7cb6, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে যে কর্মসূচি দিল বাম জোট," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে দুই দিনের বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আজ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামীকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা। এ ছাড়া পরদিন মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি করা হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সরকারের ভয়ভীতি, প্রলোভন উপেক্ষা করে আজকের ‘একতরফা প্রহসনের’ নির্বাচন বর্জন করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।এতে বলা হয়, ‘গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে সরকার ‘‘একতরফা প্রহসনের’’ নির্বাচন করে যে তামাশার জন্ম দিল, তা দেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক ঘটনা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/international/435496,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সব দলের অংশ নিতে না পারা দুঃখজনক : অস্ট্রেলিয়া,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল এবং অংশীজনরা অর্থবহ ও উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছে অস্ট্রেলিয়া। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সব পক্ষের অংশ নিতে না পারার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে দেশটি। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এই মন্তব্য করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, আমরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তবে এটা দুঃখজনক যে, নির্বাচন এমন এক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে; যেখানে সব অংশীজন অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা এবং রাজনৈতিক বিরোধী সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।’’বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকার মানবাধিকারের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।এতে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434079,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, প্রচারে বাধা-হুমকির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন," প্রচারে বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাবিধ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে রাজবাড়ী শহরে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নুরে আলম সিদ্দিকী হক।স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক অভিযোগ করে বলেন, প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। প্রথমে প্রার্থীতা বাতিল করা হলেও পরে আপিলে ফিরে পাই। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারে বাধা, পোস্টার ছেঁড়া, হুমকি-ধমকি দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।এসময় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকিতে ভয় পাবেন না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। ফলে আমি আশাবাদী ৭ জানুয়ারি পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর মানুষ ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434059,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে গোটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা : রিজভী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে, এটি গোটা জাতিকে প্রবঞ্চিত করা। এ অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, এ নির্বাচন বর্জন করতে হবে।মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বরের আশপাশের এলাকায় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এটি কোনো নির্বাচন নয়, এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। তারা আবারও মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার আরেকটি সাজানো নাটক বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। কিন্তু এবার আর প্রতারণার নির্বাচন করে পার পাওয়া যাবে না।এ সময় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহিলা দলের নেত্রী জাকিয়া আক্তার, পান্না ইয়াসমিন, আয়েশা আক্তার মিলি, হাসিনা আক্তারসহ নেতাকর্মীরা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434209,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪," এটি কোনো নির্বাচন নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র : রিজভী"," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি কোনো নির্বাচন নয়, এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। একতরফা নির্বাচন করে দেশকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার আরও বেশি টাকা লুট করতে, বিদেশে টাকা পাচার করতে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। তারা চায় বাংলাদেশকে আরও লুটপাট করতে। আপনারা দেখছেন একজন এমপি বাংলাদেশে থেকে টাকা লুট করে ইংল্যান্ডে কিভাবে টাকা পাচার করেছে, তারা এরকম পাচার করতে চায়।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ব্যাংক ডাকতি করে, জনগণের টাকা লুট করতে চায়, টাকা লুট ও পাচার করে তারা আরও বেশি সুখে থাকতে চায়। কিন্তু দেশ জাহান্নামে যাক, জনগণ জাহান্নামে যাক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার জোর করে একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে কোনো নির্বাচন নেই, এখানে জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই, জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এটি কোনো নির্বাচন নয়, এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না, এ নির্বাচন বর্জন করুন। তাদের বিরুদ্ধে সবাই একসঙ্গে রুখে দাঁড়ান।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ যুব-বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনসহ আরো অনেকে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434197,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার ১০ প্রার্থী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ভোটের মাঠ থেকে একে একে সরে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার দলটির পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে না থাকার ঘোষণা দেন। এর মধ্যদিয়ে সবমিলিয়ে গত তিন দিনে জাতীয় পার্টির ১০ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেলেন।মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-৭, দিনাজপুর-২ , গাজীপুর-৪ , চুয়াডাঙ্গা-১ ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।।এরআগে সোমবার (১ জানুয়ারি) হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন।তারও আগে গত ৩১ ডিসেম্বর বরিশাল-২, বরিশাল-৫, বরগুনা-১ ও গাজীপুর- ১ আসনের প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের শুরুতে প্রার্থীদের দল থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এজন্য তারা মাঠে নেমেছিলেন। শুরুতে নিজেদের টাকা খরচ করে অনেক প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় পোস্টার ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু প্রার্থীরা এখন দলের প্রতিশ্রুত আর্থিক সাপোর্ট পাচ্ছেন না। যার ফলে অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।আবার অনেকে মান-সম্মান ও চাপের কারণে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালেও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এছাড়া, এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকেও প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠে রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই। কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। বর্তমানে দলটির কতজন প্রার্থী মাঠে আছে, তার সঠিক হিসাবও কেন্দ্রের কাছে নেই!চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে সরে যাওয়া জাপার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এমনকি দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে ফোন দিলে তারা ফোনও ধরছেন না।তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে আমি নির্বাচনী সব প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত আছি। কেননা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের টাকার পাল্লার কাছে নির্বাচন করার মতো আমার অবস্থা নেই। এ ছাড়া দলের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ফোন দিলেও তারা ধরেন না। কেন্দ্রে যারা আছেন তারা কেউ সহযোগিতা করছেন না। সারা বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির ৩৮৩ জনের মধ্যে সরকারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জনকে উনারা আসন দিয়েছেন। আমাদেরকে সকল দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের জানিয়েছেন, যারা দলকে না জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434074,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে’," নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। বিএনপি এত দিন গুজব ছড়িয়েছে, বিদেশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। কিন্তু দেশের মানুষ আর তাদের গুজব শুনতে চায় না, এমনকি তাদের দলের লোকজনও না।’মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ ও দোহার) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান। গতকাল সরকারি নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় সভা করেন তিনি। পওে বেলা আড়াইটায় নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইমাম ও আলেম-ওলামা সমাবেশে যোগ দেন তিনি।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বিদেশীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তারা বলেছে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমি তাদের কথা দিয়েছি, দেশে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হবে। এখন কিন্তু অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগে জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, নবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কিসমত, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শিকদার, সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিলসহ উপজেলার ব্যবসায়ী সংগঠন এবং ইমাম ও আলেম-ওলামা পরিষদের নেতারা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434269,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, প্রচারে হামলার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন," চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিন উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আবারো নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ করেছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মতলব উত্তরের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ হামলায় ঈগল প্রতীকের ৫ সমর্থক আহতসহ উঠোন বৈঠকের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি তার।চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান বলেন, 'আমি যেখানেই নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছি, সেখানেই নৌকার প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী বাধার সৃষ্টি করছে। বুধবারও আমার প্রচারে বারবার বাধা দিয়েছে। মতলব উত্তর বাগানবাড়ি ইউনিয়নে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেখানে পুলিশ থাকায় তারা হামলা করতে পারেনি। পরে বিজেবি উপস্থিত হলে তাদের সামনেও হামলার চেষ্টা করে তারা।ইসফাক আহমেদ আরো বলেন, আমার একটি নির্বাচনী উঠান বৈঠকের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেছে। শুধু তাই নয় মতলন সাদুল্লাপুর পাঠান বাজারে আমার ঈগল প্রতীকের ৫ জন সমর্থককে আহত করেছে। এছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) তারা আমার নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে একজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। এসব হামলার ভিডিওচিত্র আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছি। এখানে নৌকার প্রার্থী আমার সকল কাজে সকল রকমের বাধা দিচ্ছেন। এমনকি তিনি বারবার নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করছেন। তার সমর্থকরা প্রশাসনের সামনেই মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে।ঈগল প্রতীকের এ স্বতন্ত্রপ্রার্থী আরো বলেন, এতকিছুর পরেও আমি মতলবের যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই ব্যপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটারা আমাকে বলেছে, যদি সুষ্ঠ ভোট হয় আর জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, তবে আমি বিপুল ভেটে বিজয়ী হব। তাই নৌকার প্রার্থীকে বলব, আপনি আমার মুরব্বী। হিংসাত্মক পখ ছেড়ে দিয়ে আসুন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434563,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, সাত সকালে রিজভীর নেতৃত্বে লাঠি মিছিল," আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রাজধানীতে লাঠি মিছিল করেছে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় এই মিছিল হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ দেশে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি হচ্ছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। আরেকটি হচ্ছে টাকা পাচার ও লুটেরাদের পক্ষে, মানুষের অধিকার হরণের পক্ষে। আমরা যারা ন্যায়ের পক্ষে আছি তাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।তিনি বলেন, ‘অবৈধ’ নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। লুটেরাদের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন, আব্দুল হালিম খোকন, তারেকুজ্জামান তারেক, রফিকুল ইসলাম রফিক, এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434435,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, মমতাজ ও টুলুর বিধি ভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ," মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু।নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগ করেন তারা। এর মধ্যে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপের নিজ বাসভবন মমতাজ বেগম এবং উপজেলার বাইমাইলের নিজ বাসভবনে জাহিদ আহমেদ টুলু সংবাদ সম্মেলন করেন।মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচনী প্রচারে বারবার আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু ও তার কর্মীরা। আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জাহিদ আহমেদ টুলুকে দুবার করে শোকজ করেছিলেন। আচারণবিধি লঙ্ঘন না করার শর্তে দুবার তিনি (টুলু) মুচলেকা দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে ভোটারদের টাকা ও বিভিন্ন ধরনের উপঢোকন দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে এক কর্মীকে ভোটার উপঢোকনসহ (সাবান) আটক করে, পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। সুষ্ঠ ও নিরোপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিতের লক্ষ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করা উচিত।মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জেলা ও উপজেলার গুরুত্বর্পূণ নেতারা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। তারা নৌকার কর্মীকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।এদিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, ‘মমতাজ বেগমের লোকজন বিভিন্ন সময় আমার কর্মীদের নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। আমার কোনো কর্মীকে টাকা দেই নাই। যদি কোন কর্মী কাউকে টাকা বা কোন উপঢোকন দিয়ে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয় নাই। এত বড় আসনে তো সকল কর্মীর খোঁজ রাখা সম্ভব না। নৌকার প্রার্থী ও তার কর্মীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434621,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, যশোরে প্রার্থী-সমর্থকদের লাখো টাকা জরিমানা," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরে প্রার্থীর সমর্থকদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে ১৭ দিনে (১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৯১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানের মাধ্যমে মোট চার লাখ দশ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার ৬টি আসনে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই আদালত পরিচালনা করা হয়।প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, যানজট সৃষ্টি করে শোভাযাত্রা ও ব্যানার ব্যবহারসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আচারণবিধি লঙ্ঘনের জরিমানা গুনেছেন।জানা যায়, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে ৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ ও দলীয় স্বতন্ত্র ৮ এবং জাতীয় পার্টির ৬ প্রার্থী। বাকিরা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা)-এ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৬৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা)-এ ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।যশোর-৩ (যশোর সদর কিন্তু বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ব্যতীত)-এ ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ১৮হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর এবং যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নসহ)-এ ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৭৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ ও ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।যশোর-৫ (মণিরামপুর)-এ ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।যশোর-৬ (কেশবপুর)-এ ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত যা অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’মোহাম্মদ আবরাউল আরো বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রতিটি ভোট উপজেলায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। যে অপরাধ করছে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435013,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট বর্জন সার্থক: রিজভী," নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, সরকার ফেলানী হত্যা দিবসে পাতানো নির্বাচন করে ফেলানীর মতোই গণতন্ত্রকে তারকাঁটায় ঝুলিয়েছে। তাদের প্রভুদের খুশি করতে ফেলানী হত্যা দিবসে নির্বাচন করেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য এই সাজানো নির্বাচন করছে সরকার।তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না। তাহলে ১৮ শতাংশ ভোটার কোথায় থেকে এলো? এতদিন দেখেছি, ভোটকেন্দ্রে মানুষ আসতো। আজ দেখলাম, যশোরে একটি ভোটকেন্দ্রে বানর ভোট দিতে এসেছে।বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করছেন এবং মিডিয়াতে বক্তব্য দিচ্ছেন, নৌকার প্রার্থীরা তাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছেন। কে কে জয়ী হবে তা সরকার আগেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সরকার নিজেদের মধ্যে ভোট করছে। তবুও, পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য রাতের বেলায় ব্যালটবক্স ভর্তি করে রেখেছে। আবার কোথাও সাত বছরের শিশুও ভোট দিচ্ছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তারা সবসময় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে। শিল্পমন্ত্রীর ছেলে জালভোট নিয়ে ধরা পড়েছে। জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেছেন, এই সরকার নিরপেক্ষ ভোট করতে জানে না। তারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে বলেই অনলাইন পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434986,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, জনগণ তাদের বর্জন করেছে: কাদের"," বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে যে মানুষ ভোটের পক্ষে আছে। বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, আজ জনগণ তাদের বর্জন করেছে।রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের উদয়ন প্রি-ক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে নিজের ভোট প্রদান করে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়েছে। সারা দেশে ভোট কেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করছে মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।তিনি আরও বলেন, প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও মা-বোনেরা (বিপুল সংখ্যক ভোটার) উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দিচ্ছেন। তা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরাও দেখতে পাচ্ছেন। গণতন্ত্রের প্রাণ ও সৌন্দর্য হচ্ছে নির্বাচন। এতদিন সকলে শুনেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, ফ্রি, ফেয়ার হবে না। এখন সকলেই দেখতে পাচ্ছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন। এটাই নির্বাচনের সার্থকতা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্যতা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/434823,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের আগের রাতে বিএনপির মশাল মিছিল," নির্বাচন বর্জন, অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরিসহ ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে নরসিংদী শহরে মশাল মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের গাবতলী এলাকায় জেলা ও শহর বিএনপির ব্যানারে এ মিছিল হয়। শহর বিএনপির সভাপতি এ কে এম গোলাম কবির কামালের নেতৃত্বে মশাল জ্বেলে বিক্ষোভ করে দলের নেতাকর্মীরা।মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি উম্মে সালমা মায়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না আহমেদ, শহর যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও শহর যুবদলের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলামসহ অন্যরা।বিএনপি নেতারা বলেন, যেকোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারির এক তরফা নির্বাচন বন্ধ করা হবে। সেই সঙ্গে এই সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। রাজপথে থেকে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435171 ,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে শেরীফা কাদেরের ভরাডুবি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিপুল ভোটে মো. খসরু চৌধুরী কেটলি মার্কায় জয়ী হয়েছেন। নৌকা না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদেরের লাঙ্গলের ভরাডুবি হয়েছে।উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সাইদুর রহমান রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানান।সাইদুর রহমান বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের ২১৭টি ভোট কেন্দ্রের ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৬০টি ভোটের মধ্যে খসরু চৌধুরী কেটলি মার্কায় পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট। ৩৪ হাজার ১৭৬ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ট্রাক মার্কার অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তোফাজ্জল হোসেন। জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদের লাঙ্গল মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন মোড়া মার্কায় পেয়েছেন ২ হাজার ৫ ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এস এম আবুল কালাম আজাদ টেলিভিশন মার্কায় পেয়েছেন ৫৯১ ভোট। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির দয়াল বড়ুয়া হাতঘড়ি মার্কায় পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট। জেডিপি’র ফাহমিদা হক সুকন্যা ছড়ি মার্কায় পেয়েছেন ১০৯ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া আম মার্কায় পেয়েছেন ২৫১ ভোট। তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ মফিজুর রহমান সোনালি আঁশ মার্কায় পেয়েছেন ১৮১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বশির উদ্দিন ঈগল মার্কায় পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট।এই আসনটিতে মোট ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৬০ জন। যার মধ্যে বাতিল (অবৈধ) হয়েছে ১ হাজার ৫৭৩ ভোট। ভোট পরেছে ২৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। শেরীফা কাদেরের ভরাডুবি",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435173,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ধরাশায়ী হেভিওয়েট ১৮ প্রার্থী," কেউ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, কেউ ছিলেন নিজ দলের শীর্ষ নেতা। কারও আবার রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার, ছিলেন জাঁদরেল পার্লামেন্টারিয়ান। রাজনীতির মাঠে নানা কারণে আলোচনায় থাকা অন্তত ১৮ জন হেভিওয়েট প্রার্থী এবার ধরাশায়ী হয়েছেন।গতকাল রোববার ভোট গণনা শেষে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, রাজশাহীর-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে হেরে গেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের কাছে পরাজিত হয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ । কিন্তু দিন শেষে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের কাছে হেরে গেছেন তিনি। পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরে গেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। ওই আসনে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের নুরুল ইসলাম নাহিদ। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর কাছে হেরে গেছেন নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিল।হবিগঞ্জ-৪ আসনে এবারও নৌকা প্রতীকে ভোটে করেছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার ছায়েদুল হক সুমনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন তিনি। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হোসেন টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। যশোর-৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর কাছে হেরেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গাও পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান। অপরটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু।পাবনা-১ আসনে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর কাছে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ। পিরোজপুর-৩ আসনে প্রবীণ সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজের কাছে আর মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মৃণাল কান্তি দাস স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের কাছে পরাজিত হয়েছেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435168,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, মাহিয়া মাহি পেলেন সবচেয়ে কম ভোট!," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বলা চলে, ওই আসনে নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গেলে, আলোচিত হয়েও মাহিই সবচেয়ে পেলেন কম ভোট।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮) মোট ১৫৮ কেন্দ্রের মাঝে ১৭টি কেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে মাহি পেয়েছেন ১১২৯ ভোট। আর বিজয়ী প্রার্থী মো ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ৯৪১৬ ভোট।এদিকে ভোটের দিন সকালেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন এই নায়িকা। কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন মাহি। এ সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন তিনি।নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কেন আমি মেনে নেব। পাশাপাশি আল্লাহ না করুক আমি যদি ফেলও করি, আগামীকালকে এলাকাজুড়ে শোডাউন করব।আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435015,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের ভয় দেখানো হয় : চুন্নু," কেন্দ্রে না যেতে কয়েকটি জায়গায় কোনো কোনো মহল থেকে ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।তিনি বলেছেন, ভোটারদের কোনো কোনো মহল থেকে ভয়-ভীতি দেখানো হয়, যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে না আসে। আমরা রাতেই খবর পেয়েছি গ্রামে গ্রামে গিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমি যোগাযোগ করে বলেছি এগুলো খেয়াল করার জন্য।রবিবার সকালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, যেটা দেখলাম আমি এসে; আমি তো নির্বাচন করছি আরো অনেক আগে থেকে, এবার যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, টাকার এত ছড়াছড়ি! ব্যাপকভাবে টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে। এই লক্ষণটা সুষ্ঠু ভোটের জন্য ভালো নয়।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435488,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ," রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। কার্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে কার্যালয়ের সামনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা।বর্তমানে কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নিয়েছে বনানী থানার ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ। তারা বলছে, বিশৃঙ্খলা ঘটার মতো তথ্য থাকার কারণে তারা নেতাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন।আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকেই দলটির নেতা-কর্মীরা জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে মূল ফটক লাগিয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়।দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, নির্বাচনের সময় দলের নেতা-কর্মীদের কেন চেয়ারম্যান, মহাসচিব খোঁজখবর নেননি, সাহায্য-সহযোগিতা করেননি, তার জবাবদিহি চান তাঁরা। এ জন্য তাঁরা দলীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে।জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্টি অফিসে নেতা-কর্মীরা সব সময়ই আসবে। আমরা দলীয় বিষয়ে কথা বলব, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে পুলিশ গেট বন্ধ করে রেখেছে।’সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য সফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে আমাদের কথা বলতে চাই। এখানে বাধা দেওয়া, গেট বন্ধ করে রাখা হবে কেন?’তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘চুন্নু দলটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমরা আর এদের চাই না। জাতীয় পার্টিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান চাই।’অন্যদিকে দলটির কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই পুলিশের কড়া অবস্থান দেখা গেছে। নিরাপত্তার বিষয়ে বনানী থানার পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। এখানে আমরা প্রতিনিয়তই থাকি। আজকে বিশেষ কিছু না।’এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান হক বলেন, ‘তারা (নেতা-কর্মীরা) তাদের পার্টি অফিসে ঢুকবে এতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। তবে শৃঙ্খলা রেখে তারা ঢুকবে এটাই প্রত্যাশা।’ওসি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশৃঙ্খলা ঘটার বিষয়ে কিছু তথ্য থাকলে আমরা কি তাদের প্রবেশাধিকার শিথিল করে দেখতে পারি? আমরা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এখানে অবস্থান করছি।’তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বা মহাসচিবের পক্ষ থেকে পুলিশকে নিরাপত্তার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435175,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, টুলুতে ধরাশায়ী মমতাজ," মানিকগঞ্জ-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন ওই আসনের বর্তমান এমপি ও পপ সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী।রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ওই আসনে মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাজ বেগম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু আর মমতাজ বেগম সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।২০০৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নির্বাচিত হন মমতাজ। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435375,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, উত্তরখানে তোফাজ্জালের ভরাডুবির নেপথ্যে তরুণ নেতা পিন্টু," রাজধানীর ঢাকা-১৮ আসনে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত এলাকার নাম উত্তর খান। উত্তর সিটির তিনটি ওয়ার্ড ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক থানা এটি। এলাকায় অধিকাংশ লোক স্থানীয় বাসিন্দা। যদিও বাড়িঘর করার সূত্রে বহিরাগত বাসিন্দাও কম নয়। এবার ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকে শিল্পপতি খসরু চৌধুরি বিপুল ভোটে জয়ী হলেও বড় ব্যবধানে হেরে যান ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন। অনেকের ধারণা ছিল উত্তর খান এবং দক্ষিণ খান এলাকায় বড় ব্যবধানে জিততে পারেন ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী। এজন্য তার নির্বাচন প্রস্ততি থেকে শুরু থেকেই জয়ী মনোভাবের মূল কারণ ছিল উত্তর খান এবং দক্ষিণ খান এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু উত্তর খান এলাকার বর্তমান ৩ জন কাউন্সিলর ট্রাক প্রতীকের পক্ষে কাজ করলেও কাঙ্খিত জয় আনতে পারেননি। যদিও প্রতিটি ওয়ার্ডে কেটলি প্রতীকের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পায়।আলোচনা আছে, উত্তর খানে এ জয়ের নেপথ্যে নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু। তিনি নিজে একজন বহিরাগত হয়েও স্থানীয় এবং বহিরাগতের ভোট খসরু চৌধুরির পক্ষে নিতে সক্ষম হন। অবশ্য উত্তর খানে কেটলির এ ফলাফলের পেছনে আরো যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কামাল চেয়ারম্যান (সাবেক) সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে নাসিম সরকার, সাবেক ছাত্র নেতা আলী রাজ, যুবলীগ নেতা শিপনসহ অনেকে।জানা গেছে, গত এক দশক ধরে কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু শিল্পপতি খসরু চৌধুরির সাথে উত্তরায় রাজনীতি করছেন। এমপি বলয়ের বাইরে একমাত্র পদধারি এ নেতা খসরু চৌধুরিকে এমপি বানানোর জন্য নিরলসভাবে লেগে ছিলেন। তিতুমীর কলেজের সাবেক তুখোড় এ ছাত্র নেতা নিজ ওয়ার্ডে স্থানীয় প্রভাবশালী কাউন্সিলরকে পাশ কাটিয়ে কেটলির বিজয় চিনিয়ে আনেন। এটাকে রীতিমতো চমক বলছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, এ ওয়ার্ডে শিল্পপতি খসরু চৌধুরির কিছু রিজার্ভ ভোট থাকলেও স্থানীয় ভোটারদের কেটলির পক্ষে আনতে দারুন ভূমিকা রেখেছেন পিন্টু। ব্যক্তিগতভাবে সদালাপি এবং মিশুক এ নেতাকে নিয়ে ৪৪ নং ওয়ার্ডবাসী এবার কেটলির বিজয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন, যা অনেককে অবাক করেছে।যদিও নিজের আত্বীয়তা এবং দীর্ঘ দিনের কাজের সুবাধে এ ওয়ার্ডের তথা উত্তর খানবাসীর সাথে তোফাজ্জল চেয়ারম্যানের সখ্যতা দীর্ঘদিনের। অনেকের ধারণা ছিল থানার তিনটি ওয়ার্ডে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তাছাড়া স্থানীয় প্রভাশালী সবগুলো কাউন্সিলরও তার হয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু ভোট শেষে দেখা গেছে, তারা সবাই হেরেছেন। তোফাজ্জলের এ হারে স্থানীয় কাউন্সিলরদের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432606,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," যতই হামলা হোক না কেন, ভোটের মাঠ থেকে যাবো না : হিরো আলম "," ওপর যতই হামলা, জুলুম হোক না কেন; ভোটের মাঠ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা বাজারে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।হিরো আলম বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমার জনপ্রিয়তা দেখে হামলা করছেন। পরপর দুইবার হামলা করা হয়েছে। আমরা মনোবল হারায়নি, মাঠে আছি। ভোটের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। আমার ওপর যতই হামলা, জুলুম হোক না কেন; ভোটের মাঠ থেকে যাবো না।’তিনি আরও বলেন, হিরো আলম ভয় পায় না ভোটাররা তা জানেন। নির্বাচন ও জনগণের সেবা করতে গেলে বুকে সাহস লাগে। আমি সাহস নিয়েই নির্বাচনী মাঠে এগিয়ে চলছি। এসময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে ডাব প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান হিরো আলম। হামলা করে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করা যাবে না।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজারে ও রোববার সন্ধ্যায় কাহালু বাজারে হিরো আলমের ওপর হামলা চালানো হয়। নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এরমধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪দলীয় জোটের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432768,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন করলেও সরকার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না," সরকার প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এলেও জনগণের প্রতিরোধে টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মতিঝিল এলাকায় ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।নজরুল ইসলাম খান বলেন, নামসর্বস্ব দল বা সরকারের সমর্থক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। যাকেই ভোট দেওয়া হোক না কেন, তিনি হবেন সরকারি দল বা সরকারের সমর্থক ব্যক্তি।তিনি বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আমরা সে কারণেই জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। এটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।তিনি আরও বলেন, যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, ভোট দিতে দেয় না, নিত্য নৈমিত্তিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, দুর্নীতি করে দেশের সম্পদ লুট করে আমরা এমন সরকারকে অসহযোগিতা করতে দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি সিনিয়র এই নেতা বলেন, সরকার এত পরিমাণ অত্যাচার, অনাচার ও লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী খেলায় সরকার নির্বাচন করেও ফেলতে পারে। এতে কিছু যায় আসে না। কারণ, এ দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দেবে না।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432803,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহজাহান ওমরের প্রতিদ্বন্দ্বী মনির," ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মনিরুজ্জামান মনির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজাপুর উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা মিলনকেন্দ্র কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।সংবাদ সম্মেলনে এম মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমার মার্কা ঈগল। আজ আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। সাথে সাথে আমার শুভাকাঙক্ষী ও সম্মানিত ভোটারদের অনুরোধ জানাচ্ছি সবাই আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে অবশ্যই কেন্দ্রে যাবেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন এবং আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করবেন।এম মনিরুজ্জামান মনির আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। এই আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুল আলম সরফরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু ও শাহ জালাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।ঝালকাঠি-১ আসনে এই দুই প্রার্থী ছাড়া আরও ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম (ট্রাক), তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন তালুকদার (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মজিবুর রহমান (ডাব), জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির এজাজুল হক (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. মামুন সিকদার (ছড়ি)।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432807,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশের বাধা," রাজধানীতে ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বের করা গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে রাস্তায় পড়ে যান মঞ্চের বেশ কয়েকজন নেতা। এসময় পুলিশ হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও হামলার নিন্দা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল শুরু করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ । এ সময় পুলিশের হামলায় মঞ্চের বেশ কয়েকজন নেতকর্মী আহত হন। এছাড়া, সমাবেশস্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলে কয়েক দফায় বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ। সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণসংযোগ শুরুর আগে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশে মিলিত হন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432759,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," নির্বাচন বর্জন নয়, বানচালের চেষ্টায় বিএনপি"," বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকবে আওয়ামী লীগ কখনোই তা চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পোলিং এজেন্টদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।নির্বাচন বর্জন নয়, বানচালের চেষ্টায় বিএনপি এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু একটি পক্ষই নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শুধু নির্বাচন বর্জন নয় বিদেশ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে।সংবিধান রক্ষা করতেই নির্বাচন দরকার বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।আজ ১০টা সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই সেশনে প্রশিক্ষণ দেবে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ কমিটি। সারাদেশ থেকে দলীয় প্রার্থীর মনোনীত পোলিং এজেন্টদের আজকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি নৌকার আসন থেকেই পাঁচজন পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণের জন্য চাওয়া হয়েছিল।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432936,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, দেশের জনগণ একতরফা নির্বাচন বর্জন করছে: রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণ একতরফা পাতানো নির্বাচন বর্জন করছে। অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে ডামি ও তামাশার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না।বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে শান্তিনগর মোড় ও কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, যে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়ে আছে সে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই। গণতান্ত্রিক বিশ্বও তথাকথিত ভোটের উৎসবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জোর করে তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। রিলিফ ও ভাতার কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গা না দেওয়ার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটের উৎসবের বদলে সারা দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে।রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জোর করে নির্বাচনের আয়োজন করে দেশটাকে জাহান্নাম বানানো হচ্ছে। এখানে কোনো নির্বাচন নেই, জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সেজন্যই জনগণ এ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে।জনগণকে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বানও জানান রিজভী।লিফলেট বিতরণ ও বক্তব্য দেওয়ার সময় রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, জিয়া হলের যুগ্ম সম্পাদক বাবু, প্যাব সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হাসান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফজলুল হক, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক হৃদয় অনেকেই।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432978,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জবরদস্তির নির্বাচন দেশকে আরও অন্ধকারে নিয়ে যাবে : গণতন্ত্র মঞ্চ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সরকারের সাজানো, একতরফা এবং জোরজবরদস্তির নির্বাচন বলে মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা বলেছেন, জবরদস্তি ও তামাশার এই নির্বাচন দেশকে আরও ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’— এ আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগের আগে পথ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।বক্তারা বলেন, সরকার এমন একটি নির্বাচন করছে, যেখানে সরকার কে হবে তা কেউ জিজ্ঞাসা করে না। সব দিক থেকে শুধু প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা উঠেছে যে, বিরোধী দল কে হবে? এই তামাশায় মানুষ আসবে না। যে সরকার ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, তাদের সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। ৭ জানুয়ারির এই তামাশার ভোট বর্জন করে মানুষ তাদের সমুচিত জবাব দেবে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব না থাকে, তাহলে সেই সরকারকে সহযোগিতা করার দরকার নেই। সরকার তাদের নির্বাচন নামক খেলায় অংশ নিতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা ও দুস্থ ভাতা কার্ড জমা নিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষ এই তামাশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজার পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ ও গণসংযোগ শেষে মিছিল করা হবে বলেও জানায় গণতন্ত্র মঞ্চ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432977,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন," চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনী ক্যাম্প আগুনে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় নগরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মাবুদ সওদাগরের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্যাম্পের দক্ষিণ ও পূর্বপাশের অংশ পুড়ে গেছে। এছাড়াও ক্যাম্পে থাকা বিপুল পরিমাণ ত্রিপল, পোস্টার ও ব্যানার পুড়ে গেছে।ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনের সমর্থক তানভীর নেওয়াজ কাজল বলেন, আমাদের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট কারোর বিরুদ্ধে নেই। তবে কার নির্দেশে কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি স্পষ্ট। আশা করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের খুঁজে বের করবে।এ বিষয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, আমি কোনোভাবেই সংঘাত-সহিংসতার পক্ষে নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে প্রার্থী হয়েছি। যেখানেই যাচ্ছি নেতাকর্মীদের একটাই কথা বলি, মার দিলেও সহ্য করতে। মারামারি ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে। আমার কেটলি প্রতীকের বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্যাম্প পুড়িয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম. আবদুল লতিফকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১১ আসন। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, একাধিক ইপিজেডসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত। এখানে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। তবে আসনটিতে নৌকার লতিফ ও কেটলির সুমনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আভাস মিলছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432972,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ইসিতে যে ব্যাখ্যা দিলেন নৌকার বাহার," কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াতকে বলা হয়েছিল। আসন্ন নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা চালানো হলে বিএনপি-জামায়াতের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে; এই উদ্দেশ্যে আমি কথাটা বলেছি।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া এক শুনানি শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।নৌকার প্রার্থী বাহার বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের যে দুটো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি অনভিপ্রেত আর অন্য অভিযোগের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি— আমার প্রার্থিতা বাতিল হবে না।এদিন বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনে এই শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে নৌকার প্রার্থী আ.ক. ম বাহাউদ্দীন বাহার সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন।আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সোমবার কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বরগুনা-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে তলব করে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।ইসি জানিয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী- তারা একাধিকবার নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম করেছেন এবং আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এজন্য নির্বাচনী তদন্ত কমিটি কারণ দর্শাতে তাদের একাধিকবার নোটিশও দিয়েছিলেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433000,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, খুলনায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ," খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী আজগর বিশ্বাস তারা ওরফে তারা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার দৌলতপুর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আরজি জমা দেন।এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করায় তারা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধিতে দেয়াল লিখন নিষিদ্ধ হলেও তিনি নগরীর বিভিন্ন দেয়ালে চিকা মেরে নৌকার পক্ষে ভোট চান।দৌলতপুর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৯ বিধির ক ও খ উপ-বিধি লংঘনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পরে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৫ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় মঙ্গলবার মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433336,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ত্রিশালে নৌকার পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিলির অভিযোগ ," ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে নৌকার পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার (২৮ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নারী ভোটারদের সঙ্গে নৌকার পক্ষে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মো. শামসুদ্দিন। সভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল হাত ভর্তি টাকা নারীদের মধ্যে বিতরণ করেন। পরে টাকা দেওয়ার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম।তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, কাউকে টাকা দেওয়া হয়নি। ছবিতে যা দেখেছেন, তা কেন্দ্র খরচের টাকা যা কর্মীদের দেওয়া হয়েছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি বাড়িতে থাকায় আশপাশের লোকজন চিকিৎসা, শীতের কম্বল কিনতে টাকার জন্য এসেছিল। এই টাকা আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী হাফেজ রহুল আমীন মাদানী। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগ করা ত্রিশাল পৌর মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ ও তৃণমূল বিএনপি থেকে ডক্টর আবদুল মালেক ফরাজী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433332,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোট না দিলে মসজিদ-কবরস্থান বন্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে : রিজভী," বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী বলেছেন, পাতানো নির্বাচন ঘিরে দেশে অকল্পনীয়, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করছে। নৌকা ও ডামি প্রার্থী এবং আইনশৃংখলা বাহিনী-রাষ্ট্রযন্ত্র সব আওয়ামীময় হয়ে গেছে।শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য মরিয়া তারা। প্রতিটি জনপদের মানুষ আমি-ডামী প্রার্থী আর তাদের সমর্থক ও প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য হুমকিতে ভীত। ভোট কেন্দ্রে না গেলে হত্যা, গ্রাম ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছেন, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। ভোট না দিলে মসজিদ-কবরস্থান বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিকে সাধারণ জনগণ অন্যদিকে ‘আমরা আর মামুরা’। এখন মাফিয়াচক্র নেমে পড়েছে ভোটার হান্টিং মিশনে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে ভোটার আসবে এমন নিশ্চয়তা পাচ্ছে না।তিনি দাবি করেন, গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করে বলেছেন, ‘২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। ৯৯ নয়, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে পারি এবার আর আগের রাতে ভোট হবে না। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২৯৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433276,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : রিজভী," বাংলাদেশে ডামি প্রতারণার নির্বাচন আয়োজন করতে প্রতিবেশী দেশ সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে ইমিটেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।আজ (শুক্রবার) সকালে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর ও আশপাশে লিফলেট বিতরণকালে এই অভিযোগ করেন রিজভী।নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে— প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত করছেন আপনারা। বাংলাদেশে ডামি প্রতারণার নির্বাচন আয়োজন করতে প্রতিবেশি দেশ সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে তাদের দিয়ে হস্তক্ষেপ করাতে বাধ্য করছেন আপনারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে না। ডামি নির্বাচন দেশের জনগণসহ বিশ্ববাসী মেনে নেবে না।আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যা হচ্ছে তা অবৈধ নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন, ইমিটেশন নির্বাচন।সরকার নির্বাচনের নামে জনগণকে ভেলকিভাজি দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ এমন প্রতারণার নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে কোনও প্রহসন চায় না।ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে নির্বাচন বর্জন করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান রিজভী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমুখ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433121,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, হুমকি দিয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হুমকি দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। একটি অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংগ্রাম করছি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু জনগণকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তারা ভোট দেওয়াতে চায়।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাফরুল ও উত্তরা এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে সাতটায় কাফরুলের পুলপাড় এলাকায় ও সকাল সাড়ে আটটায় উত্তরা আধুনিক মেডিকেলের আশপাশের এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন তিনি।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালিব হোসেন রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম উদ্দিন, সদস্য রাজু, কাফরুল থানা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, আকরাম যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক জি এস কামাল, দস্য ওহিদ আলম শাহাদাৎ কোয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফজলুল হক, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুনতাসির, আশরাফুল আসাদ, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলামিন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি আক্তার, উত্তরা পূর্ব থানার বিএনপি নেতা জাহিদ, শাহাদাত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির, উত্তর ছাত্রদল নেতা মঈন, দক্ষিখান থানা শ্রমিক দলের সেক্রেটারি সুরুজ, দক্ষিণখান থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিমুল, ৪ নম্বর ওয়াড সভাপতি আনছার আলী ১৬ নম্বর সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন ফারুক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হাসান ইফাত, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মহসিন হোসেন, কাফরুল থানা মহিলা দলের আহবায়ক নাজমা আক্তার, যুবদল নেতা পারভেজ কাফরুল থানার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোওাদিরুল ইসলাম শাকিল, আব্দুল হক শেখ ফরিদ ছাত্রদল নেতা বাপ্পীসহ অনেকে।এ সময় রিজভী আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলফ নামায় মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাদের লুটের সম্পদের পরিমাণ আরও বহুগুণ বেশি।তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির খবর এখন মানুষের মুখে মুখে। অবৈধ সরকারের নেতাকর্মীদের সম্পদ বাড়লেও ঋণের বোঝা পড়ছে জনগণের কাঁধে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানান রিজভী।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433650,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, একতরফা ভোট বর্জন করুন: রিজভী," একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের সম্পদ লুট করে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশে-বিদেশে টাকা পাচার করেছে, জনগণের সম্পদ লুট করে আজকে তারা শাদ্দাদের বেহেশত বানিয়েছে।তাই এ বেহেশত তারা হাতছাড়া করতে চায় না। সেজন্য তারা ‘আমরা আর মামুরা নির্বাচন’, নিজেরা নিজেরা নির্বাচনের আয়োজন করছে।নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মালিবাগ কাঁচা বাজারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।রিজভী বলেন, এ নির্বাচন হচ্ছে আমরা আর মামুরা নির্বাচন, নিজেরা নিজেরা নির্বাচন, একক নির্বাচন। এটি জনগণের নির্বাচন নয়। এটি ভোটারদের নির্বাচন নয়। এখানে ভোটাররা যেতে পারবে না।তিনি বলেন, কেন এ নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ! কারণ তারা যে লুট করছে, যে সম্পদ করেছে, সম্পদ পাচার করেছে, তারা যে আজকে বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে সেটি তারা বজায় রাখতে চায়।দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, লুটেরাদের বিরুদ্ধে খুনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন, নির্বাচন বর্জন করুন, এ নির্বাচনে কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ যুব-বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433491,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, প্রার্থীদের হত্যার চক্রান্ত করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়াতে বিএনপি গুপ্তহত্যার পথে আগাতে পারে। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীদের হত্যার চক্রান্ত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনে লাশ বানিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে বিএনপি। হয়তো তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীকে লাশ বানানোর চক্রান্ত আছে নির্বাচনকে ঘিরে।এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে গুপ্তহত্যার পথে তারা এগিয়ে যাবে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সারা দেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।নতুন বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হবে জানিয়ে দলীয় প্রার্থীসহ সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম ও নেতিবাচক রাজনীতির জন্য নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংসের জন্য দায়ী।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433700,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নিয়ন্ত্রণহীন প্রচার মাইক উচ্চশব্দে অতিষ্ঠ টঙ্গীবাসী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন প্রার্থী ও সমর্থকদের উচ্চশব্দের প্রচার মাইকে অতিষ্ঠি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার বাসিন্দারা। অনেক স্থানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পক্ষে বাজানো হচ্ছে প্রার্থীর পক্ষে তৈরি প্রচার গান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ‘নো মাইকিং জোন’ও মানা হচ্ছে না।৭ জানুয়ারি ভোট উপলক্ষে টঙ্গীতে জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। কৌশল হিসেবে গাড়ি বহরে পিকআপভ্যানে উচ্চশব্দের সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজাচ্ছে প্রার্থীরা। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লায় মাইকে উচ্চশব্দে প্রচারণার গান বাজাচ্ছেন সমর্থকরা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। এরপরও মাইক ব্যবহার করলে তা আইনত দণ্ডনীয় হবে। তবে সারজমিনে দেখা মেলে এর উল্টো চিত্র।গাজীপুর-২ (সিটি করপোরেশন ৩৬টি ওয়ার্ড) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের তেমন প্রচার নেই। তবে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দি এবং ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা মানছেন নির্বাচনী আইন। প্রতিদিন সকাল ৯টার পর থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত মাইকে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে চালানো হচ্ছে তাদের নির্বাচনী প্রচার। এতে নগরবাসী শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যায়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তাদের।নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহারের নির্দেশ।প্রতিদিন সকাল ৯টার থেকে প্রায় রাত ১০-১১টা পর্যন্ত মাইকে উচ্চশব্দে বাজে গান।মানা হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নো মাইকিং জোন ।৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই শুরু হয় মাইকের যন্ত্রণা। উচ্চশব্দে মাইক বাজাতে থাকে। মাইকে প্রচারে সরকারি নিয়মনীতি মানা হয় না। এ কারণে অনেক সময় বিদ্যুতের জরুরি ঘোষণাও খেয়াল করা হয় না। পরে আমাদের ভোগান্তিতে পড়ে হয়।’টঙ্গী এলাকার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, ‘পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী প্রচারের উচ্চ শব্দে ভোগান্তির কথা কেউ বিবেচনা করছে না। অতি দ্রুত আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।’উচ্চশব্দের প্রভাব বিষয়ে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘উচ্চ শব্দ অদৃশ্য শত্রু। এতে সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শব্দ দূষণের ফলে বধিরতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্রের জটিলতা, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শব্দযন্ত্রের ব্যবহার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন আচরণবিধি কোনো প্রার্থী ও সমর্থক ভঙ্গ করছে কি না, তা তদারকি করতে জেলা প্রশাসকের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে। এছাড়া প্রতিনিয়তই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। নির্বাচন পর্যন্ত এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।’",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433818,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণকে ধমক দিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার : রিজভী," সরকার জোর-দবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে। এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। তাদের ডামি নির্বাচন ইতোমধ্যে ড্যাম হয়ে গেছে।সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর কাফরুল এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন রিজভী।নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে কাফরুল থানা বিএনপি মিরপুর ১৩ নম্বর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের আশপাশ এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই ঠিক হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা ছাড়া আর কিছু নেই। ডামি এই নির্বাচন ইতোমধ্যেই ড্যাম হয়ে গেছে। ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।রিজভী বলেন, মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন আমি ভারতের প্রার্থী।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার জোর-দবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে একটি অবৈধ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা আর মামুরা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। তারা নিজেরা নিজেরা খুন করছে, নাশকতা করছে, মানুষ মারছে, আর এটা চাপিয়ে দিচ্ছে যারা গণতন্ত্ররে জন্য লড়াই করছে তাদের ওপর। যারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, সরকার জোর করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই অবৈধ সরকার যাতে জোর করে ক্ষমতায় না থাকতে পারে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের শান্তিপূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করুন, ভোট দিতে যাবেন না, অবৈধ নির্বাচন মানবেন না।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তা সফল করুন। অবৈধ ডামি নির্বাচন বর্জন করুন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, কাফরুল থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক আকরাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মন্টু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আউয়াল, থানা বিএনপির সদস্য ওহিদ আলম শাহাদাৎ কয়েল, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আনছার আলী, ১৬ নং সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন ফারুক, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্যাব দফতর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হাসান ইফাত, স্বেচ্ছাসেবেক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন হোসেন, কাফরুল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন, কাফরুল থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক নাজমা আক্তার, কাফরুল শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রুবেল, যুবদল নেতা পারভেজ, কাফরুল থানার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোওাদিরুল ইসলাম শাকিল, আব্দুল হক শেখ, ফরিদ, ছাত্রদল নেতা বাপ্পী প্রমুখ।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433856,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আরও তিন দিনের কর্মসূচি বিএনপির," তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি এবং নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ সোমবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের অভিযানে পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি চার দফা হরতাল ও ১৩ দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় আরও তিন দিন একই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ এখন নিজ দেশেই পরাধীন। সরকার অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার খায়েশ মেটাতে বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরব ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে এখন বিনা ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রেখেছে।’শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের রায় নিয়ে রুহুল কবির বলেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/433817,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আন্দোলন-নির্বাচন পরিস্থিতি জানিয়ে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি," আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন চলছে। ভোট বর্জন করার জন্য তারা প্রতিদিন লিফলেট বিতরণ করছে।এছাড়া একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ দূতাবাস পাঠানো হয়েছে এ চিঠি।বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তর চিঠি গ্রহণ করেছেন।জাতিসংঘে পাঠানো চিঠিতে বিএনপি জানিয়েছে, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের পটভূমিতে, আবারও আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনমূলক ও সহিংস কারচুপির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তথাকথিত এই ‘ডামি নির্বাচন’ সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে নাশকতা চলছে, তাতে শুধু গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নন, নিপীড়ন-নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষ। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-কাঠামোতে, বিশেষত বাস-ট্রেনে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে, জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা-স্বাধীনতা বিনষ্ট করছে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশ।সহিংসতার বিষয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনায় একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার একমাত্র বেনিফিশিয়ারি আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র, আর প্রধান ভুক্তভোগী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ক্ষমতাসীন শীর্ষ নেতৃত্ব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কোনো তদন্ত, তথ্য বা সূত্র ছাড়াই প্রতিটি ঘটনার পরপর অবলীলায় ও একই সুরে অগ্নিসন্ত্রাসের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। নিজেদের সুপরিকল্পিত এই ধ্বংসযজ্ঞকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার করে তারা রাষ্ট্রীয় দমন-নিপীড়নকে উসকে দিচ্ছেন, যা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে বারবার প্রমাণিত হয়েছে।গত ১৯ ডিসেম্বর ট্রেনে মর্মান্তিক ঘটনার উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় চলন্ত ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং চারজন যাত্রী মারা যান। ঘটনার বিশ্লেষণে প্রতীয়মান যে, রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি চিহ্নিত অংশের যোগসাজশে এই নাশকতা সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন আগেই, ১৯ ডিসেম্বরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি পরিষেবা, ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এই নির্দেশনাটি কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। ডিএমপির এই প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছিল, নাশকতার সুস্পষ্ট তথ্য ও পরিকল্পনা তাদের কাছে কীভাবে এল এবং তারপরও এটি রোধে কেন তারা কোনো ব্যবস্থা নিলেন না, জনমনে এসব প্রশ্ন রয়েছে। ’বিগত বছরগুলোতে বিএনপি যতবার জনগণকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আওয়ামী লীগও একই দিনে পরিকল্পিত নাশকতার উদ্দেশ্যে কর্মসূচি আহ্বান করেছে। আমরা দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বদা একটি অহিংস আন্দোলন বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছি এবং সকল উসকানি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। গত ২৮ অক্টোবর আমরা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে সারা দেশ থেকে গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আবারও প্রমাণ করেছিল, বিএনপির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে এবং একটি সত্যিকারের নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের বিব্রতকর পরাজয় অনিবার্য। আর তাই, আমাদের মহাসমাবেশকে বানচাল ও চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, সেদিন একটি ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশের চিহ্নিত অংশ। ’ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মুখোশধারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সহায়তায়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ হাসপাতালের সামনে বাস ও গাড়িতে আগুন দেয়। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যাও করে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি, যা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়। এই নৃশংসতার পর, বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলসমূহ, ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জোরদারের প্রস্তুতি নিলে আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের এক নোংরা কৌশল অবলম্বন করে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা বন্ধ করতে বা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে, ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে, পুলিশের সহযোগিতায় ও পরিকল্পিতভাবে এই হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাসের সময় নীরব দর্শক হিসেবে পুলিশের মৌন সহযোগিতা, নাশকতা শেষে অপরাধীদের অবলীলায় ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়া এবং পরবর্তীতে এর দায়ে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রায় ২৫ হাজার গণগ্রেপ্তার ও ২৭ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা- গত দুই মাসের ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের আলামত স্পষ্ট। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরা তালিকা করে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করছে। বিশেষত অগ্নিসন্ত্রাসের অভিযোগে তারা ছাত্রদল ও যুবদলের সদস্যদের টার্গেট করছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। পুলিশের দাবি করা তথাকথিত সহিংসতার স্পট থেকে অনেক দূরে, ভিন্ন কোনো এক জায়গা থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রতারণামূলকভাবে সেই গায়েবি ঘটনার সঙ্গে আমাদের ছেলেদের সম্পৃক্ত করে অভিযোগ বানাচ্ছে।ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বানোয়াট অভিযোগ ও গায়েবি মামলাসমূহ সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের যৌথ এই উদ্যোগ আসলে সরকারের মাস্টার প্ল্যানেরই অংশ। এটি আজ দৃশ্যমান যে, সরকার একটি সিস্টেম্যাটিক ফরমুলা অনুসরণ করছে। প্রথমে তারা মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে নাশকতার ঘটনা তৈরি করে। এরপর বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিসমূহের উপর দায় চাপিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় প্রদান করে ও আমাদের চলমান আন্দোলনকে বিতর্কিত করার একটি হীন প্রচার চালায়। এই পরিকল্পনারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং এই নাশকতাগুলোকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকে স্তিমিত করে দেওয়া। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী দল বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সম্মিলিতভাবে অগ্নিসংযোগ করছেন, অবিশ্বাস্য এই হীন অপবাদ চাপিয়েই পুলিশ কাল্পনিক মামলা এবং বানোয়াট অভিযোগ নথিভুক্ত করে চলেছে। এমনকি ইতোমধ্যে বিএনপির যেসব সদস্য মারা গিয়েছেন বা গুমের শিকার হয়েছে, সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। কোনো নিরপেক্ষ বা স্বাধীন সাক্ষী ছাড়াই মিথ্যা পুলিশি সাক্ষ্যকে একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বিচার বিভাগের ধারাবাহিক পূর্বপরিকল্পিত এই রায়সমূহ আইনের অনুশাসনের সার্বিক অবক্ষয়কে পুনঃপ্রমাণিত করে তুলছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432093,প্রতিদিনের সংবাদ,"২২ ডিসেম্বর, ২০২৩"," নৌকার দুই ইউপি সদস্যকে হুমকি, সংবাদ সম্মেলন"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারে বাঁধা ও হুমকির অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শৈলকুপা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ইউপি সদস্য এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভুক্তভোগীরা হলেন, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চরমালিথিয়া গ্রামের রতন চন্দ্র কুন্ডু ও মালিথিয়া গ্রামের সুজন সরকার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।দুই ইউপি সদস্যের অভিযোগ, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলালের সমর্থক চাঁদ আলী মন্ডল তাদেরকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেয়। এসময় চাঁদ আলী মন্ডলের প্রলোভনে রাজি না হওয়ায় মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন। লাঙ্গলবাঁধ এলাকায় নৌকার প্রচারে বিঘ্ন ও পোস্টার লাগাতে দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, সুজনের ছেলে কার্তিক সরকার গত বুধবার সকালে নৌকার পোস্টার লাগাতে গেলে চাঁদ আলী তাকে বলে, ‘তোর বাবাকে বলে দিস ওর সময় খুবই কম।’ চাঁদ আলী মন্ডলের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। চাঁদ আলীর ভয়ে তারা বাড়ি ছাড়া রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432101,প্রতিদিনের সংবাদ,"২২ ডিসেম্বর, ২০২৩", নির্বাচনে ফাউল করলে খবর আছে : ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজ আসন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট)-এ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোটের মাঠে নেমেই দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারো জন্য তদবির করবো না।শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনী এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সংবিধানকে বাচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।এদিন বিকেলে সাড়ে ৩টায় বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণার শুরু করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা।এসময় তার ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432454,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩", আ. লীগ সভাপতিকে সাধারণ সম্পাদকের হত্যার হুমকি ,"নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাও, নাটেশ্বর, অম্বর নগর ইউনিয়ন) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলমকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুর (২৪ ডিসেম্বর) ১টার দিকে এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের বিরুদ্ধে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোরশেদ আলম ।এর আগে, গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সেনবাগের ছমির মুন্সিরহাটে এক অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মানিক এ হুমকি দেন বলে অভিযোগ মোরশেদ আলমের।জানা গেছে, মানিক নৌকার বিরোধিতা করে সতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। শুক্রবার দুপুরে নিজের অনুসারীদের নিয়ে কাঁচি প্রতীকের সমর্থনে নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজে’ এক সভার আয়োজন করেন। সভায় মোরশেদ আলমকে রক্তাক্ত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন জাহাঙ্গীর আলম মানিক। এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘মানিক সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি হলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী। সে আমাকে রক্তাক্ত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকের মোবাইল ফোনে কল করলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432453,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩"," নির্বাচনী প্রচারে সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিকে হুমকি, জিডি"," পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুই সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ও এজাজ চৌধুরী মঠবাড়িয়া থানায় এ ঘটনায় পৃথক দুটি জিডি করেছেন। সোহেল দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ও এজাজ দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি।সাংবাদিক সোহেল জানান, তিনি পত্রিকায় কাজ করার পাশাপাশি ‘এমবি টিভি’ নামে একটি অনলাইন পেইজ পরিচালনা করেন। সম্প্রতি পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজির ঈগল প্রতীকের বেশ কয়েকটি প্রচার আপলোড দেন ওই অনলাইন পেইজে। পরে দুর্বৃত্তরা শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্য রাতে দুবার মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয় ও অন্য এক সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন প্রচারের আহ্বান জানান। হুমকিদাতা র‌্যাব নাসিরের চাচাতো ভাই সবুজ বলে পরিচয় দেন বলেও অভিযোগ করেন সোহেল।সাংবাদিক এজাজ চৌধুরী জানান, তার ‘মঠবাড়িয়া সমাচার’ নামে অনলাইন পেইজে সতন্ত্র প্রার্থী রুস্তুম আলী ফরাজির ঈগল প্রতীকের বেশ কয়েকটি প্রচার আপলোড দেওয়ায় শনিবার রাতে তাকেও হত্যার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা । এছাড়া আরো কয়েকজন সাংবাদিককেও মোবাইল ফোনে কল করে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জিডির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432248,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩", এ দেশের রাজনীতিতে বিষফোড়া বিএনপি : সেতুমন্ত্রী," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের রাজনীতিতে বিষফোড়া বিএনপি। এ বিষফোড়াকে রাজনীতিতে থেকে মুছে ফেলতে হবে।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বামনী বাজারে গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। এদের প্রতিহত করার একটা সুযোগ এসেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোট দিয়ে এ সুযোগ কাজে লাগান।তিনি বলেন, শুধু নিজেরা ভোট দিলে হবে না, বাড়িতে থাকা মা-বোনদের দলে দলে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। শুধু এ অনুরোধ করতেই আমি এখানে এসেছি।এর আগে ওবায়দুল কাদের সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার এবং পরে পেশকারহাট, নতুন বাজার ও টেকেরবাজারসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন।মন্ত্রী দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ শেষে বিকেল ৩টা নির্বাচনী এলাকার আরেক উপজেলা কবিরহাটে পথসভায় বক্তব্য দেবেন। কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মকছুদের রহমান মানিক (মশাল), ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। তিনি ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এ আসনে ওবায়দুল কাদেরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান। তিনি জাতীয় পার্টি সরকারে উপরাষ্ট্রপতি এবং ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432594 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩",সিপিডির কাছে লোপাট টাকার সন্ধান চাইলেন কাদের," যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।এ সময় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কাছে ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবো।আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এটাতো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা। কোনো প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে, তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির জিরো টলারেন্স। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, তাদের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। যারা নির্বাচনের পক্ষে তারাই আমন্ত্রণ পাবেন।তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ সেটি কমিশন দেখবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে দেখার দায়িত্ব কমিশনের। আমি কোনো দল বুঝি না, ১৮৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ প্রতিদ্বিন্দ্বিতা বিঘ্নিত হলে, প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খলা হলে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432449,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩", নৌকার পোস্টার-ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ প্রার্থীর," চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নৌকা প্রতীকের পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।অভিযোগ এমপি শিমুল উল্লেখ করেন, গত তিনদিন থেকে উপজেলার কানসাট আব্বাস বাজার, বিশ্বনাথপুর, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সেলিমাবাদ খানপাড়া, ইসরাইল মোড়, মনাকষার খড়িয়াল, উজিরপুর ও রাণীহাটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকা মার্কার নির্বাচনী পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টার লাগানোর সরঞ্জাম ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এসব ছিড়েছেন, তা উল্লেখ না করলেও এ জন্য তিনি প্রতিপক্ষকে দায়ি করেন।সামিল উদ্দিন শিমুল বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। নৌকার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এফ এম আবু সুফিয়ান জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/432449,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩", চৌদ্দগ্রামে মাঠে নেই লাঙ্গলের মোস্তফা কামাল," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে প্রতীক বরাদ্দের সাতদিনেও দেখা মেলেনি লাঙ্গল প্রতীকের মো. মোস্তফা কামালের।জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আওয়ামী লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, গণসংযোগ ও নির্বাচনী সমাবেশের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পক্ষান্তরে নির্বাচনী এলাকার কোথাও লাঙ্গল প্রতীকের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সমঝোতা হওয়ার আগ পর্যন্ত সরব দেখা গেলেও এখন আর তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এদিকে দলীয় প্রার্থীর এমন নিরবতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) স্থানীয় নেতাকর্মীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতাকর্মীরা বলেন, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে অতিথি পাখিদের মূল্যায়নের কারণেই জাতীয় পার্টির আজ এ দৈন্যদশা। চৌদ্দগ্রামকে একসময়ে জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে মনে করা হলেও আজ সেই পরিচিতি হারিয়ে যেতে বসেছে।দলীয় নেতাকর্মীরা আরো জানান, নির্বাচন উপলক্ষে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আলমগীর কবির মজুমদার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করবেন দলীয় নেতাকর্মীরা এমনটাই আশা করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে আল মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যার রাজনীতির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান।উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপার) সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম জানান, মোস্তফা কামালকে তিনি আগে কখনো দেখেননি এবং তার সঙ্গে কোনো পরিচয় নেই। মনোনয়ন পাওয়ার পর একদিন তার সঙ্গে পরিচয় হয়। নির্বাচন না করলে কেন তিনি মনোয়ন নিয়েছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।এ ব্যাপারে জাপার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মো. নজমুল বলেন, ‘আমিও গত তিনদিন ধরে প্রার্থীকে কল দিচ্ছি, তিনি কল ধরেননি। এ বিষয়ে প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলা ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।’এ বিষয়ে জানতে চৌদ্দগ্রাম আসনে জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তফা কামালকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।নির্বাচনে মোস্তফা কামাল ছাড়াও আরো সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান (ফুলকপি), উজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিয়া নিজাম উদ্দিন (ঈগল), গণফোরাম এড. আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, ইসলামী ঐক্যজোট খোরশেদ আলম (মিনার), বিএনএফ জসিম উদ্দিন (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপি ইলিয়াস মজুমদার (সোনালী আঁশ)।আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে ১২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই আসনে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৬ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২ হাজার ৮৯ জন ও মহিলা ১ লাখ ৯১ হাজার ৭১৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৩ জন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/431166,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", দ্বৈত নাগরিকত্বে প্রার্থিতা হারালেন তারা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই জনসহ মোট তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিল শুনানিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ ও ফরিদপুর-৩ আসনের শামীম হক এবং বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করেছে সংস্থাটি। তবে, ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানিতে এসব রায় দেয় ইসি। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত আছেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিলবরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ মনোনয়নপত্রে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব (অস্ট্রেলিয়া) সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ দেবনাথ। অভিযোগ পেয়ে শাম্মী আহমেদের যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল দায়ের করেন শাম্মী আহমেদ। পরে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয় ইসি। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়ায় শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করল কমিশন।দ্বৈত নাগরিকত্বে প্রার্থিতা হারালেন শামীম হকক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ফরিদপুর-৩ আসনের প্রার্থী শামীম হক হলনামায় তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। মনোনয়নপত্রে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব (নেদারল্যান্ডস) সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন মর্মে অভিযোগ করে প্রার্থিতা বাতিল চান স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার এই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কিত তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল কমিশন। পরে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য হওয়ায় আপিলে তার মনোনয়ন বাতিল করল ইসি।শামীম প্রার্থিতা হারালেও ফিরে পেলেন এ কে আজাদপ্রথমে, নৌকার প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছিলেন এ কে আজাদ। পরে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন শামীম হক। হলফনামায় ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন তিনি। তার আপিলের ফলে এ কে আজাদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় কমিশন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য বলেছিল সংস্থাটি।শুনানি শেষে বের হয়ে এ কে আজাদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের আইনজীবী একটি অভিযোগ দাখিল করেন যে, এ কে আজাদ আমেরিকার নাগরিক। আজ কমিশন শুনানিতে শামীম হকের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে কি না। জবাবে তারা জানান, তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। পরে তথ্য প্রমাণ না থাকায় এ কে আজাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয় ইসি।দ্বৈত নাগরিকত্বে বাতিল সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নবরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আপিল করেন ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সাদিকের বিরুদ্ধেও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনা হয়। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে তার মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কে বি এস আহমেদ ইসিতে এই আবেদন করেন।আপিলে সাদিক আবদুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ভোটার হিসেবে উল্লেখ করে সেখানকার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া তথ্যও যুক্ত করা হয়। আপিল শুনানি শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে রায় দেয় ইসি। তবে প্রার্থিতা ফিরে পেতে সাদিক আবদুল্লাহ হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/431163,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাহিয়া মাহিকে তলব," আলোচিত চিত্রনায়িকা ও রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যার (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে তলব করেন।মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জানতে পারে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষারিয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন শারমিন আক্তার নিপা (মাহি)। যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।তাই তার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/431250,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩", বিজয় দিবসে ভোট বয়কটের ডাক বিএনপির," বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি।সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা দলটি বাঙালির এই বিজয়ের দিনে কোনো কর কর্মসূচি না রাখলেও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে।জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব আপনাদের মাধ্যমে যে, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মর তৃপ্তির জন্য, যারা আহত হয়েছেন, নানাভাবে কষ্ট করেছেন, যারা বিভিন্নভাবে এই যুদ্ধটাকে সফল করার জন্য কাজ করেছে, তাদের সকলের আত্মার শান্তির জন্য এই নির্যাতনকারী, অগণতান্ত্রিক, জোর করে ক্ষমতায় আসীন সরকারের পতন ঘটানোর যে ঐক্যবদ্ধ লড়াই, সেই লড়াইয়ে সবাই শামিল হোন।আর নির্বাচনে যে প্রহসনের খেলা হচ্ছে, এই খেলায় দয়া করে কেউ যুক্ত হবেন না। এই ভোট দেয়ার কোনো অর্থ নাই। এই ভোট না দেয়ার জন্য এবং এই ভোটের কার্য্ক্রমে অংশগ্রহণ না করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা আহ্বান জানাই যে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক।স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মঈন খান দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়, সামাজিক অবক্ষয় ও গণতন্ত্রহীন সমাজ ব্যবস্থার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।তিনি বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এসে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে আওয়ামী লীগ যে সরকার চালাচ্ছে তারা স্বাধীনতার কোনো আদর্শকে ধরে রাখতে পেরেছে, সেই প্রশ্ন আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে জিজ্ঞাস করতে হবে। সরকার কি করেছে? মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করে যে একদলীয় বাকশাল একবার কয়েম করেছিল, এখন আবার অলিখিত নব্য বাকশাল- বাকশাল টু কায়েম করেছে।তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে পরাধীন করেছে। সরকার একটা ভুয়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করছে। এই ভুয়া নির্বাচনে যেটা তারা করেছে সেটার নাম হচ্ছে ভোট ভাগাভাগি। এখানে কোনো নির্বাচন নাই।এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, নিপুণ রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান শিমুল, রফিক শিকদার, সেলিম রেজা হাবিব সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা।এর আগে সকাল ৯টায় আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।পরে সাংবাদিকদের কাছে মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার একান্ন বছর পাড়ি দিয়েছি আমরা কিন্তু দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল, শহীদদের যে স্বপ্ন ছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, ৫২ বছরে এসে বলতে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা সম্পূর্ণভাবে ভূলণ্ঠিত। দেশে গণতন্ত্র নাই; অর্থনৈতিক লুটপাট, চাঁদাবাজি। দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার, যার কারণে আজকে আমাদের অর্থনীতি ফোকলা। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা।সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গায়ের জোরে নিশি রাতে ভোট করেছে। এবার তারা ভাগাভাগির নির্বাচন করছে। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে, বিএনপি মহাসচিবসহ হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রেখেছে।বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুর ১টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/431913,প্রতিদিনের সংবাদ,"২১ ডিসেম্বর, ২০২৩", ভোট ঠেকাতে ১৫ দিনের পরিকল্পনা বিএনপির," জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে দুই সপ্তাহের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দলটির নেতাদের। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতেই তাদের এমন কর্মসূচি।বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের নতুন মাত্রা অসহযোগ। ভোটবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচনে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে ১৫ দিনের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। গণসংযোগের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি আরো শক্তভাবে পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের।নির্বাচন বর্জনকারী সব দলকে এ আন্দোলন পাশে চায় বিএনপি। নিজেরাও সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে এই ১৫ দিন মাঠে নামতে চায় দলটি।বিএনপির নেতারা মনে করেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে সমর্থন আছে সাধারণ মানুষের। অতীতের মতো এবারো দেশে-বিদেশে বিতর্কিত হবে নির্বাচন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/431915 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩",ভোট বর্জনের ডাকে লিফলেট বিতরণ ," এক দফা দাবিতে অসহযোগের ডাক দেওয়া বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ করেছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে জনা দশেক নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার (২১ সেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার এলিফেন্ট রোড এবং পরে বেইলি রোডে দোকান কর্মচারী, ফুটপাতের পথচারী এবং রিকশা-অটোরিকশার চালক ও যাত্রীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দল যখন ৭ জানুয়ারি ভোট সামনে রেখে প্রচারে ব্যস্ত, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে অসহযোগের ডাক দেন রিজভী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি নির্বাচনি দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলেন। পাশাপাশি সরকারকে কর, খাজনা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল পরিশোধ বন্ধ করে দেওয়ার এবং ব্যাংকে আমানত না রাখার আহ্বান জানান।রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির সাজানো ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে ওরা ছাড়া কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আমরা জনসাধারণকে বলব, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। কেউ ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্র যাবে না। আপনি নিজেও যাবেন না, অন্যকেও যেতে বারণ করুন। এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ বিদেশিরা দেখছে কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ডামি প্রার্থী সাজিয়ে সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে যারা এই অবৈধ ডামি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তারা জনগণের কাছে বিশ্বাসঘাতক দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানে বিএনপি আগামীকাল শুক্র ও শনিবারও সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে। এরপর রোববার আবারও সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/430429,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩","কর্মিসভার নামে প্রচারে প্রার্থীরা, নির্বিকার ইসি "," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০০ আসনেই চলছে হরদম প্রচার। বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে এসব প্রচার-প্রচারণা। কেউ বলছেন, ‘বর্ধিত সভা’; কেউ বলছেন, ‘কর্মী সমাবেশ’ এবং কারো মতে, ‘ঘরোয়া বৈঠক’। সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্রার্থীর নামে চলছে গান-স্লোগান। জোরেশোরেই মাইকে ঘোষণা চলছে ‘অমুক’ ভাইয়ের সালাম নিন, ‘তমুক’ ভাইকে ভোট দিন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী বা জোটবদ্ধ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এসব কৌশলী প্রচারণা বন্ধে নির্বিকার নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, নামেই বর্ধিত সভা, কৌশলে চলছে প্রার্থীদের প্রচার। বর্ধিত সভাসহ নানা নামে চলছে মোটর শোভাযাত্রা ও প্রচারণা। সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ। সীমিতসংখ্যক প্রার্থীকে শোকজ বা তলব করা হলেও প্রতিটি আসনেই প্রতিদিন লঙ্ঘিত হচ্ছে আচরণবিধি। ভোটের মাঠের লড়াইয়ে সমান শক্তির প্রার্থী না থাকায় প্রচার-প্রচারণায় চলছে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা। কৌশলে প্রচার চালালেও সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসি।সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ১৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় বা অন্য কোথাও কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করতে পারবেন না। আরেকটি ধারায় বলা আছে, ভোট অনুষ্ঠানের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। এ বিধি লঙ্ঘন করলে ওই প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে দোষী সাবস্ত্য হবেন।ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ দিন প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে ঘরোয়া সভার বাইরে উন্মুক্ত স্থানে মঞ্চ করে জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকেই প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগেই বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশ করার নামে চলছে মোটর শোভাযাত্রা। চলছে বিশাল স্টেজ করে প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা ও প্রার্থী পরিচয়। এসবের কৌশলী প্রচারে আচরণবিধি প্রতিনিয়ত ভাঙছে।এদিকে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে অনুশাসনের মধ্যে রাখতে ইসি গঠন করে দিয়েছে প্রতিটি আসনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি। এ কমিটি বড় ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে হেভিওয়েট থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নন- এমন প্রার্থীদের কমিটিতে তলব ও শোকজ করছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রার্থীকে শোকজ ও তলব করা হয়েছে বলে ইসির আইন শাখার সূত্রে জানা গেছে। একইসঙ্গে ৮ শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তবে শোকজ ও তলব করা প্রার্থীদের জবাবে শাস্তির বদলে শুধু দায়মুক্তি দিয়ে দায় সারছে কমিশন। এতে আচরণবিধি মানায় সতর্ক হওয়ার বদলে অনেকটা উৎসাহিত হচ্ছেন প্রার্থীরা।বড় ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রার্থীকে তলব বা শোকজ করেছে। এর মধ্যে সাবেক সিনিয়র সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসন আমু, মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, গোলাম দস্তগীর গাজী, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, গাইবান্ধা-১ আসনের আফরুজা বারী, ফরিদপুর-৩ আসনের শামীম হক, মাদারীপুর-৩ আসনের ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদপুর-১ আসনের মো. আবদুর রহমান, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রমুখ।সুনামগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকের বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে গত ২৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে শোভাযাত্রা করার অভিযোগ আনা হয়।ওই অভিযোগের জবাবে মোহাম্মদ সাদিক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে দেওয়া বক্তব্যে উৎসাহী জনসাধারণ তাদের ভালোবাসা জানাতে সমবেত হয়ে তাকে স্বাগত জানান বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করেন তিনি। প্রতিবেদনে এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাঁকন দে। তাকে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের ঘটনায় ‘সতর্ক’ করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন।ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে গাড়ির বহর নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা পরিষদে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ৮(ক)(খ) ধারা অনুযায়ী কেউ মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে শোডাউন করতে পারবে না। ১২ ধারা অনুযায়ী ভোটের তিন সপ্তাহ আগে প্রচার শুরু করতে পারবে না। এসব কার্যক্রম চালালে আরপিওর ৯১(খ)(২) ধারা অনুযায়ী ভোটপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হবে। প্রতিবেদনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ‘সতর্ক’ করার সুপারিশ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী। একই সঙ্গে নিক্সন চৌধুরী যেন আচরণবিধি মেনে চলেন সেই নির্দেশনা দেন তিনি।স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, স্বতন্ত্র ও দলীয় উভয়ই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। ফলে আচরণবিধি মিলেমিশে ভাঙলেও কেউ কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ দাখিল না করায় পার পেয়ে যাচ্ছেন। আবার অনুসন্ধান কমিটির জনবল কম হওয়ায় তারাও ৩০০ আসনে আচরণবিধি ভাঙার হিড়িক নিয়ে কিছু করতে পারছেন না।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/430652,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ ডিসেম্বর, ২০২৩", স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের," জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের। তবে সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণেই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে। দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে বদনাম করে কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল। বাংলাদেশের অর্জন সারা দুনিয়ার প্রশংসিত। উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে গেছে। এদেশের কিছু লোক আছে তাদের প্রশংসা করতে সংকীর্ণতা থাকে। তারা দেশকে ছোট করার জন্য সব সময় বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে। দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বিএনপি।ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সহিংসতা করে, ষড়যন্ত্র করে ও সন্ত্রাস করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। হামলা সহিংসতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত, দুর্নীতিবাজ মনে করলে তার নমিনেশন বাতিল করতে পারে।প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের। তবে সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণেই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে। দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে বদনাম করে কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল। বাংলাদেশের অর্জন সারা দুনিয়ার প্রশংসিত। উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে গেছে। এদেশের কিছু লোক আছে তাদের প্রশংসা করতে সংকীর্ণতা থাকে। তারা দেশকে ছোট করার জন্য সব সময় বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে। দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বিএনপি।ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সহিংসতা করে, ষড়যন্ত্র করে ও সন্ত্রাস করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। হামলা সহিংসতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত, দুর্নীতিবাজ মনে করলে তার নমিনেশন বাতিল করতে পারে।প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/430985,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩"," টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন, যা বললেন হিরো আলম "," আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলম। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন তিনি।বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হিরো আলম।গুঞ্জন উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, সত্যি কিনা?জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি যেখানে প্রার্থী হয়েছি সেখানে আমার সঙ্গে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো প্রার্থীই নেই। তাহলে তারা আমাকে কেন টাকা দিতে যাবে। তারা তো আমাকে ভয় পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা এমনিতেই হেরে যাবে। তাহলে টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই আসে না।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনেক গুলো কারণ আছে। আমি যেহেতু ভোটারদের আশ্বাসে এমপি প্রার্থী হয়েছিলাম, সেহেতু ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে আমাকে। আমি আগামী ১৭ তারিখ সেই কারণ বাখ্যা করে জানাব।এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে সেই সময় হিরো আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বলেছিলেন, ‘প্রতি বছরই বাতিল হয়। এটা কোনো বিষয় নয়।’পরে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরতের আপিল মঞ্জুর করে তার পক্ষে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/429145,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩"," হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল, জানালেন প্রতিক্রিয়া"," বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায় হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থী চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে হিরো আলম বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ না করে আমার উকিল (আইনজীবী) ভুল করে স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম পূরণ করেছেন আর হলফনামায় এক জায়গায় আমার স্বাক্ষর ছিল না। এটা এমন কোনো ভুল নয়। তারা চাইলে আজ এসব ঠিক করে নিতে পারতেন। কিন্তু অন্য প্রার্থীরা আপত্তি করায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এতে সমস্যার কিছু নেই। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। সেখানে না পেলে হাইকোর্টে যাব। হিরো আলম ভোটের মাঠে ছিল, ভোটের মাঠেই থাকবে।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/429132,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩", মাহিসহ স্বতন্ত্র চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল," রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।এদিন সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এতে মাহিসহ আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র চার প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অন্য সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া ওরফে মাহি তার সমর্থক হিসেবে যে ভোটারদের স্বাক্ষর দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে গড়মিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ললিতা মার্ডি নামের একজন নির্বাচনী এলাকার ভোটারই না। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকার ভোটার। তাই তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের দেওয়া ভোটারদের স্বাক্ষরের তালিকাতেও গড়মিল পাওয়া গেছে। ৯ জনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীরও তিনজনের ঠিকানা ভোটারের তালিকায় পাওয়া যায়নি।এ ছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তার সাতজন সমর্থকের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, আগে কখনো নির্বাচিত হননি এমন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। তারা প্রার্থীদের দেওয়া এই স্বাক্ষর থেকে ১০ জন করে ভোটারের তথ্য যাচাই করেছেন। এতে চিত্রনায়িকা মাহিসহ চারজন প্রার্থীর সমর্থকের তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে।মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর চিত্রনায়িকা মাহি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435502,প্রতিদিনের সংবাদ,"১০ জানুয়ারি, ২০২৪"," জাপায় বিদ্রোহ, কাদের–চুন্নুকে পদত্যাগের আলটিমেটাম"," জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে পদত্যাগ করতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। অন্যথায় দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে অপসারণ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে দলটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা।লিখিত বক্তব্যে সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সেই বোধোদয়ও তাদের হয়নি। আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারণ চান।’তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জি এম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর তাঁরা তাঁদের পদ থেকে অপসারিত বলে বিবেচিত হবেন। এই পর্যায়ে গঠনতান্ত্রিকভাবে পার্টিতে একজন ভারপ্রাপ্ত বা নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ করে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।’দলের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, ‘এখন একান্ত প্রয়োজনে কিছু রদবদল ছাড়া পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য পদে অধিষ্ঠিত নেতৃবৃন্দ স্বপদে বহাল থাকবেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়নদানে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে।’নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে উল্লেখ করে টেপা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত চার বছরে তাঁর সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। পাটির প্রার্থীদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের একপ্রকার পথে বসিয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা আজকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমরা প্রয়োজনে বর্ধিত সভা করব। আমরা প্রয়োজনে সাংগঠনিকভাবে নিয়মমাফিক কাউন্সিল আহ্বান করব।’দলের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ নেতাদের প্রসঙ্গে বাবলা বলেন, ‘আমরা শুনেছি তারা টাকা-পয়সা নিয়েছেন। এটা সঠিকভাবে তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব। দলই যদি সঠিক না থাকে, তাহলে আসন পেলাম কি পেলাম না, সেটা প্রশ্ন নয়!’ ",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435998,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৩ জানুয়ারি, ২০২৪", নির্বাচন বর্জনকারীরা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে : ওবায়দুল কাদের," নির্বাচন বর্জনকারীরা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। এ সরকারকে হটাতে তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কোনো নিষেধাজ্ঞা, কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতিতে শেখ সরকারের কার্যাবলী পরিচালিত হবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে কেউ সন্ত্রাস ও অস্থিরতা তৈরি করলে মোকাবিলা করতে হবে। বিরোধীদলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।ইশতেহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন করায় আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। অনেক বাধা আসতে পারে। কারণ যারা নির্বাচন বর্জনকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে।এর আগে, সকাল ৯টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম নিজ জেলা গোপালগঞ্জ গেছেন শেখ হাসিনা।সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর শনিবার নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন রোববার কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।",Negative https://www.protidinersangbad.com/politics/435807,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ জানুয়ারি, ২০২৪", শিগগিরই ডামি সরকারের পতন ঘটবে: রিজভী," সরকার পতনের আন্দোলন চলছে, চলবে এবং শিগগিরই ডামি সরকারের পতন ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ডামি নির্বাচন, ডামি ভোটার, ডামি প্রার্থী, ডামি এমপি, ডামি শপথের মাধ্যমে একটি কৃষ্ণতম সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে এমপি ও মন্ত্রীদের শপথই প্রমান করে অজানা আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে ক্ষমতাসীনদের।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার তাসের ঘরের মত অবস্থায় আছে। ভোট না দিয়ে জনগণ চূড়ান্তভাবে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।মির্জা ফখরুল ও আমির খসরু প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বর্তমানে তারা কারাগারে প্রচণ্ড অসুস্থ। তারপরেও তাদের মুক্তি দিচ্ছে না সরকার। জেলখানা এখন আরেক হিটলারের কনসানট্রেশন ক্যাম্প। জেলখানাকে আরেকটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে সরকার।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700772,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,"‘নির্বাচনে আসতে টাকা দিয়েছে সরকার, চাইলে প্রমাণ দেবো’ "," জাতীয় পার্টিতে আবারো নাটকীয়তা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই গুঞ্জন, জাপার নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিচ্ছেন না। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে দুই একদিনের মধ্যে দলীয় বৈঠক করে শপথ নেয়ার দিন-তারিখ ঠিক করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় দলের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বুধবারই শপথ নেবেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের বিরোধী দলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের নিয়ে পূর্ব ঘোষিত বৃহস্পতিবারের (১১ জানুয়ারি) সভাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বুধবার। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে তাদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রিসভার শপথ হবে বৃহস্পতিবার। জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে বুধবার শপথ নিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি। ভোটে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এই আসনগুলোর মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়। একাদশ সংসদে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা (সংরক্ষিত নারী আসন বাদে) ছিল ২৩টি। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন। এই চার জ্যেষ্ঠ নেতার বাইরে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া, এ কে এম সেলিম ওসমান, মো. আশরাফুজ্জামান, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৬২ জন। তাদের মধ্যে ৫৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা। ফলে সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্ররা জোট করে বিরোধী দল হতে পারে, এমন সুযোগ আইনে রয়েছে। এর ফলে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের অবস্থানও হারাতে পারে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700843,ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, জিএম কাদের ও চুন্নুর অপসারণ চেয়ে আল্টিমেটাম," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির ঘটনায় দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর অপসারণ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন দলের নেতারা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) পার্টির বনানী কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়া প্রার্থীদের পক্ষে অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা এ আল্টিমেটাম দেন। আল্টিমেটাম শেষে গঠনতান্ত্রিকভাবে পার্টিতে একজন ভারপ্রাপ্ত/নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ করে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানানো হয়। পরে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়া প্রার্থীদের পক্ষে এক লিখিত বক্তব্যে সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধদয়ও তাদের হয়নি। আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারন দেখতে চান। এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা তাদের পদ থেকে অপসারিত বলে বিবেচিত হবেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল আপনারা জেনেছেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর কোনো বিকল্প ছিল না। তবে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে পারলে ভালো হতো। আপনারা দেখেছেন, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। জাতীয় পার্টির যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তার সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে দেননি। অথচ পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত ৪ বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা এবং অদক্ষতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। পাটির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসাঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের এক প্রকার পথে বসিয়ে দেয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধর্ণা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধদয়ও তাদের হয়নি। এই পর্যায়ে গঠনতান্ত্রিক ভাবে পার্টিতে একজন ভারপ্রাপ্ত/নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ করে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। এখন একান্ত প্রয়োজনে কিছু রদবদল ব্যাতিত পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য পদে অধিষ্ঠিত নেতৃবৃন্দ স্বপদে বহাল থাকবেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন দানে যে সব অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারী হয়েছে এবং ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এই মূহুর্তে পার্টিকে সুসংগঠিত করে একটি জাতীয় সম্মেলন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। এ সময় পার্টির কো চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/country/700931,ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪," বাদ পড়লেন ১৪ মন্ত্রী, ১২ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে যাত্রা শুরু হচ্ছে নতুন সরকারের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীপরিষদ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। যারা বাদ পড়লেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. সাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা।এছাড়া দুই জন উপ-মন্ত্রী বাদ গেছেন তারা হলেন- বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/national/700851,ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে লিফলেট বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বারবার কর্তৃত্ববাদী এই দুঃশাসন তারা আর মানবে না। এর বিরুদ্ধে সবাই আজ রুখে দাঁড়ান। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার একতরফা প্রতারণার নির্বাচন করে গোটা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। আর আপনারা নির্বাচন বর্জন করে, প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তারেক-উজ জামান তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, কৃষক দলের সহসম্পাদিকা ফারজানা ইয়াসমিন লিপি, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, আতাউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, নাসরিন রহমান পপি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি প্রমুখ।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700839,ভোরের কাগজ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনে গঠিত সংসদ ‘অবৈধ': ফারুক," বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ৭ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনে গঠিত জাতীয় সংসদ ‘অবৈধ’। তিনি বলেছেন, আমরা বলেছি যে, এই নির্বাচনে জনগন অংশ গ্রহণ করেনি। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, গ্রহণযোগ্য হয়নি। শুধু তাই নয়, জনগণের অংশগ্রহণ বিহীন এই নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলোও গ্রহণ করে নাই। আমরা মনে করি, এটা অবৈধ সরকারের অবৈধ সংসদ।বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণের পর বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এ সদস্য এই মন্তব্য করেন।এদিন সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে শপথ কক্ষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ করান।বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় মতস্যজীবী দলের উদ্যোগে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের জন্য জনগণকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়া আসলো।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন, যাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২২টিতে। এর বাইরে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।এবার রেকর্ড ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বাকিদের মধ্যে দুজন সরাসরি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। নবম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটে জনগণ অংশ গ্রহণ করেনি। অতএব এই সংসদ সদস্যদের শপথও জনগণ গ্রহণ করবে না।‘ভোট বর্জনে জনগনকে ফুলেল শুভেচ্ছা’জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিকসাচালকসহ পথচারীদের হাতে ফুল তুলে দেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ সময়ে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিচ্ছি … এই ভোটে তারা অংশ গ্রহণ না করার জন্য।বাংলাদেশের রাজনীতিতে লজ্জাজনক ঘটনা ৭ জানুয়ারি ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের অনুপস্থিতিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন।আমরা তথ্য-উপাত্ত দেখে বাংলাদেশের সব মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যেটা দেখেছি সেটা হলো- ২ থেকে ৪ পাসেন্টের বেশি ভোট পড়েনি। সেই ভোটের সংসদ সদস্যদের যে শপথ অনুষ্ঠান আজ হয়েছে, আমরা তা প্রত্যাখান করছি।‘সরকারকে হুশিয়ারি’ফারুক বলেন, এই অবৈধ সংসদে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকারকে কখনো জনগন গ্রহন করবে না। আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিতে চাই, আপনারা একটা ভুয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন। এরশাদও ’৮৬ সালে ’৮৮ সালে নির্বাচন করেছিলো সেই নির্বাচন জনগণ অংশগ্রহণ করে নাই। আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন জোর করে, এবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যে নির্বাচন আপনারা করেছেন ভোটারবিহীন, সেই সরকার আপনারা পরিচালনা করতে পারবেন না।তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে আছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। রাস্তায় ইনশাল্লাহ আমরা আছি, থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অবশ্যই আমরা ছিনিয়ে আনবো।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700934,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভুয়া নির্বাচনে সংসদকে কুক্ষিগত করেছে সরকার," ভুয়া নির্বাচনে সরকার সংসদকে কুক্ষিগত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মঈন খান। তিনি বলেছেন, এই সরকার তারা সমস্ত সংসদকে নিজেদের ইচ্ছামতো কুক্ষিগত করে নিয়েছে এই ভুঁয়া প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এবং এটা আজকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।মঈন খান বলেন, আজকে জাতীয় সংসদের তিন’শ সিটের মধ্যে ২৯৯ সিটে কে বিজয়ী, কে জয়ী, কে পরাজিত সেগুলো নির্বাচনে নির্ধারিত হয় নাই…, এগুলো সব নির্ধারিত ঢাকার সর্বোচ্চ একটি টেবিলে সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আগেই নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে কে কত ভোট পাবে, কে কত শতাংশ ভোট পাবে এবং কোন সিট থেকে কে নির্বাচিত হবে। এটা আর এখন আমাদের কথা নয়, দেশে বিদেশে সমস্ত প্রমাণসহ আজকে এটা বিশ্ববাসীর কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে দুঃখজনক, লজ্জাজনক, কলঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে এই যে, মানুষ ভোট চুরি করে গোপনে। এই সরকার ভোট ডাকাতি করেছে প্রকাশ্যে। তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে, সিট ভাগাভাগি করেছে…. কে কোন সিটে নির্বাচিত হবে সেটা নির্ধারণ করেছে প্রকাশ্যে। আজকে এই সরকার কোথায় নেমেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।৫৭ দিন পর সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেইটে তালা চাবি পুলিশ থেকে না পেয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। গত ২৮ অক্টোবর এই কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেয়ার পর পুলিশ কার্যালয়ের নেতা-কর্মীদের বের করে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যায়।বিকেল তিনটায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির ওপর দলের তৈরি সচিত্র তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে কিভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে, কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে, ভোটার বিহীন কেন্দ্রে সরকার দলীয় লোকজন কিভাবে ভোট বাক্সে ব্যালট পেপার ঢুকিয়েছে ইত্যাদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অপতৎপরতা এবং দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত রিপোর্টসমূহ তুলে ধরা হয়।‘কেন্দ্রীয় অফিস বেদখলে ছিলো’আবদুল মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ৫৭ দিন পরে আমাদের নয়া পল্টনের অফিস খোলা হয়েছে। আপনারা জানেন, ২৮ অক্টোবর ক্রাকডাউনের পরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসটি সরকার বেদখল করে নিয়েছিলো। আজকে আমরা এখানে এসেছি জনগণের কথা বলার জন্য। আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য, আমরা রাজনীতি করি জনগণকে নিয়ে এবং আমরা রাজনীতি করি জনগণের মঙ্গলের জন্য।তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আছি। যেভাবে একদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং যেভাবে একদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সেই আদর্শে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আন্দোলনে আছি, রাজপথে আন্দোলনে থাকব। ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে। ফলে আমরা সেই আন্দোলনে আমরা আছি, আমরা জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের অর্থনীতির সাম্যের অধিকার এবং জনগণের গণতন্ত্রের অধিকার আমরা ইনশাল্লাহ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবো এবং ভবিষ্যতে আমরা এমন একটি পরিবেশ বাংলাদেশে সৃষ্টি করব সেখানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়।মঈন খান বলেন, দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এটা প্রমাণিত যে, এই সরকার গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না, সরকার যেটাতে বিশ্বাস করে সেটা হচ্ছে একদলীয় বাকশালী শাসন। আমরা অতীতে বলেছি, এটা হচ্ছে অলিখিত বাকশাল। আজকে নির্বাচনের পরে যা দাঁড়িয়েছে সেটা অলিখিত বাকশাল ওয়ান।আপনারা জানেন অতীতে সরকার একটি গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করেছিলো… এবার তারা চেষ্টা করেছিলো গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করতে গিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া করছিলো যে ২৬টি সিট নাকি তারা দিবে তৃতীয় পার্টি… জাতীয় পার্টি রয়েছে। বাস্তবে আমরা দেখেছি তারা বোধহয় ১১টি সিট পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ নেতারা ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701010,ভোরের কাগজ,১২ জানুয়ারি ২০২৪, জাপার ভাঙন ঠেকাতে অ্যাকশনে জিএম কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দলটির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শুনীল শুভ রায়কে অব্যাহতি দেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এর আগে, নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগের জন্য গত বুধবার ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছিলেন বিক্ষুদ্ধ নেতারা। শুক্রবার শেষ হয়েছে আল্টিমেটামের সময়সীমা। তাই আগামী ১৪ জানুয়ারি তৃণমূল নেতাদের সভা আহ্বান করেছেন নেতারা। রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ওই সভা আহ্বানের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ। আমরা চেয়েছিলাম ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু হলরুম না পাওয়ায় সভাটি ১৪ জানুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিনভর বিক্ষোভ শেষে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগের আল্টিমেটাম বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তবে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ দিন অফিসে আসেননি। তারা দুপুরে সংসদে গিয়ে শপথ নেন, সেখান থেকে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যান। দুপুরে বনানী অফিসে যখন নজিরবিহীন বিক্ষোভ হচ্ছিল তখন তারা ছিলেন সংসদ ভবনে।চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতারাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বাসে করেও লোক আনা হয় বিক্ষোভের জন্য। তাদের পার্টি অফিসে আসার খবরটি আগেই জানাজানি হয়ে যায়, এমনও খবর রটে যায় তারা বনানীস্থ পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় দখল নিতে যাচ্ছেন। এ খবরে আগেই পার্টি অফিসের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। অফিস স্টাফ ছাড়া সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাড়ানো হয় পুলিশের নিরাপত্তা। পুলিশ সদস্যরা মূল ফটকের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পথ গেট বন্ধ করে দেয়।বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম শাহজাদা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মূল ফটকের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা অফিসের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তখন প্রায় ৩০ মিনিটব্যাপী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এক পর্যা‌য়ে সিনিয়র নেতারা বাইরে বের হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। অফিসের বিপরীত দিকের ফুটপাতে চেয়ার নিয়ে বসে যান নেতারা। আর কর্মীরা রাস্তার উপরে অবস্থান নিয়ে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন।সেখানে এসে একে একে যোগদান করেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসনী, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন, ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান।এসময় পার্টি অফিসের সামনে ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ তলব করা হয়। বেলা ১টার দিকে দাবি দাওয়া নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিং করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপা। তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম। এরমধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে আমরা ধরে নেব তারা পদত্যাগ করেছেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/700983,ভোরের কাগজ,১২ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপির তালা ভাঙার নাটক," নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো গঠিত নবনির্বাচিত সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ সকল রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানিয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নবগঠিত মন্ত্রীপরিষদ সদস্যবর্গের সাথে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, 'দেখুন, বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোসহ প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছিল। অর্থাৎ বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে তারা সবাই গিয়েছিল।'পরিবেশ ও বন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা হাছান মাহমুদের নতুন দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, 'চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি আছে, সেটি অন্য কিছুতে নেই। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিলো। আমি আপনাদের সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এখন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এবং পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জ।' তিনি বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আস্থায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবো, পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাবো।' আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে সুসম্পর্ক এবং সেই নীতি নিয়েই আমরা সবার সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলবো, প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ড. হাছান।রাজনৈতিক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আজকে কাগজে দেখলাম, বিএনপি তালা ভেঙে তাদের অফিসে ঢুকেছে। অথচ তালাটা কিন্তু তারাই লাগিয়েছিল। তারাই লাগিয়ে তারাই ভাঙছে, অর্থাৎ একটা নাটক দেখাচ্ছে।'হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি নিজেরাই এই তালা লাগিয়েছিল। ৭৫ দিন ধরে কেউ যায় নাই। চাবি ইচ্ছে করে হারিয়ে ফেলেছে বা চাবি আছে, এরপরেও এভাবে তালা ভাঙার একটা নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা অপচেষ্টা",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce32deaf3,ভোরের কাগজ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ‘সরকার দলীয় লোকজন কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করছে’," জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘সরকার দলীয় লোকজন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। জামালপুর-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। পুরনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করছে।’আজ রবিবার দুপুরে রংপুর নগরীর শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন।জি এম কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে সকাল থেকে আমি তিনটি ঘটনা জেনেছি। ভোট স্বাভাবিক হবে না, সেই ধরনের একটা আবহ তৈরি করা হচ্ছে সেইসব জায়গায়। তবে সব জায়গার খবর এখনো পাইনি। আশা করেছিলাম ভোট স্বাভাবিক হবে। কিন্তু রংপুর ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে না।’তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা ছিল যে নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। আশঙ্কা সত্যি হয় কি না বিকেল হলেই বোঝা যাবে।’২০১৮ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না, এর জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কিছু কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে। কারণ, তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকবল বেশি। প্রশাসন তাদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আছে। যতদূর খবর পেয়েছি এতে আমরা উদ্বিগ্ন।’দিনশেষে জাতীয় পার্টির শঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে দলের অবস্থান কি হবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা যখন হবে তখন বলব। আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি দেখে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’এ সময় জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, জেলা কমিটির সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মণ্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে জি এম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনায়।এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। রংপুর জেলার সবচেয়ে বেশি ভোটার অধ্যুষিত এ আসনের ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৬টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন সাধারণ ভোটাররা।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701059,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে," জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আবারও যারা ষড়যন্ত্র করবে তারাও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন জাপা নেতারা।এসময় বক্তারা আরো বলেন, যারা নির্বাচনই করেনি তারাও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আসলে, জাতীয় পার্টিকে পেছন থেকে ছুড়িকাঘাত করতেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। যারা জাতীয় পার্টির কেউ না তাদের সাথেও বৈঠক করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। যাদের এখতিয়ার নেই তারা পার্টির নামে সভা ডেকে জাতীয় পার্টির কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এরশাদের সৈনিকেরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, জামাল উদ্দিন, নুরুল হক নুরু, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, মীর সামছুল আলম লিপ্টন, ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের বাদল, মো. আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান শান্ত, অর্ণব চৌধুরী, আল আমিন সরকার, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর দক্ষিণের সভাপতি মো. ইউসুফ।জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আবারও যারা ষড়যন্ত্র করবে তারাও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন জাপা নেতারা।এসময় বক্তারা আরো বলেন, যারা নির্বাচনই করেনি তারাও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আসলে, জাতীয় পার্টিকে পেছন থেকে ছুড়িকাঘাত করতেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। যারা জাতীয় পার্টির কেউ না তাদের সাথেও বৈঠক করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। যাদের এখতিয়ার নেই তারা পার্টির নামে সভা ডেকে জাতীয় পার্টির কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এরশাদের সৈনিকেরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, জামাল উদ্দিন, নুরুল হক নুরু, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, মীর সামছুল আলম লিপ্টন, ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের বাদল, মো. আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান শান্ত, অর্ণব চৌধুরী, আল আমিন সরকার, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর দক্ষিণের সভাপতি মো. ইউসুফ।জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আবারও যারা ষড়যন্ত্র করবে তারাও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন জাপা নেতারা।এসময় বক্তারা আরো বলেন, যারা নির্বাচনই করেনি তারাও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আসলে, জাতীয় পার্টিকে পেছন থেকে ছুড়িকাঘাত করতেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। যারা জাতীয় পার্টির কেউ না তাদের সাথেও বৈঠক করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। যাদের এখতিয়ার নেই তারা পার্টির নামে সভা ডেকে জাতীয় পার্টির কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এরশাদের সৈনিকেরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, জামাল উদ্দিন, নুরুল হক নুরু, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, মীর সামছুল আলম লিপ্টন, ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের বাদল, মো. আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান শান্ত, অর্ণব চৌধুরী, আল আমিন সরকার, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর দক্ষিণের",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701057,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে : রিজভী," ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নিপীড়ক আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে। সরকারের অকথ্য নির্বাচন ও পৈশাচিক অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দি হয়ে এখনও এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে। বিএনপির কারাবন্দি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে।রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ডামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে থেকে নির্বাচনের নামে যেই সংসদের জন্ম দিয়েছেন, আগামীতে দেশে জনগণের ভোটে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠিত হলে জনগণের কাছে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে। এই 'ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত 'ডামি সরকারের এক ডামি মন্ত্রী বলেছেন, 'দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে'। এই কথার জবাবে বলতে চাই, যে দেশে 'ডামি নির্বাচন'র মাধ্যমে 'ডামি সরকার' আর 'ডামি মন্ত্রী' থাকে সেই দেশের অনিষ্ট করতে কোনো ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। জনম্যান্ডেটহীন 'ডামি সরকার'ই যথেষ্ট দেশকে প্রভুদের পদানত ও ধ্বংস করতে।তিনি বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশ থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে। মানুষের ভোটের অধিক লুণ্ঠন করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো, দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণই নয় বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এখন বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।রিজভী বলেন, শুক্রবার ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়ে গত ৭ জানুয়ারির 'ডামি নির্বাচন' নিয়ে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের কাছে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতোই অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিক। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি।তিনি বলেন, বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং দেশের প্রায় প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ৭ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেছে। এরপরও নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, ২০১৮ সালের মতো রাতের বেলায়ও ব্যালটে সিল মারার মতো অপকর্মের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের 'ডামি প্রার্থীরা'ই এই অভিযোগ করেছেন। অপ্রিয় হলেও সত্য, ৭ জানুয়ারির ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন নতুন প্রজন্মের সামনে ৭৩ সালের নির্বাচনের জাল জালিয়াতি আর সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, ভোট ডাকাতি মনে হয় আওয়ামী লীগের বংশানুক্রমিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রূক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের দুর্বিষহ উৎপীড়নের সাথেই কেবল সরকারের কারাগারের মিল পাওয়া যায়। আমি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অবশ্যই একদফা দাবিতে সরকারের পতনের পরবর্তী আন্দোলনের ধারা ঠিক করা হচ্ছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন প্রায় বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে তারা জানাবেন। আর আমরা কর্মসূচি ও আন্দোলনের মধ্যে আছি।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কি আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি? আন্দোলনে আমাদের নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন, আবার নতুন কি কর্মসূচি আসবে, ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত এক ধারায় হয়েছে, এখন আমরা কোন ধারায় আন্দোলনে যাবো, আমাদের সঙ্গে আরও দল রয়েছে- তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। কথা বলার পরে একটা কর্মসূচি ঠিক হয়। সেভাবেই আমাদের কর্মসূচি যাচ্ছে।অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আন্দোলনের পরিপূর্ণতায় স্রোত আমরা যত বয়ে দিবো, স্রোতের ধারা যত আসবে ততই আন্দোলন পরিপূর্ণ হবে এবং তারা (সরকার) পরাজিত হবে। আর কখন পরিস্থিতি হবে, সেটা বলা যায় না। শুধু একটা বলা যায়, জনগণের আন্দোলন যদি আদর্শ, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষের হয়, সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না। এটাই হচ্ছে ইতিহাসের রেকর্ড। এখানে জনগণ পরাজিত না। অপশক্তি কিছুদিন বাধা দিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তার স্রোতকে আটকে রাখা যাবে না। কোনো না কোনো দিক থেকে এটা প্রতিহত করে এগোবে।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তামাশার নির্বাচন। এটা কোনো সরকার না। কিসের মহাযাত্রা, কি হবে। ওটা সরকারের মরণযাত্রা তারা (আওয়ামী লীগ) করছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701040,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বর্জনকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে: কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। এ সরকারকে হটাতে তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। বিরোধীরা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোনো নিষেধাজ্ঞা, কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতিতে শেখ সরকারের কার্যাবলী পরিচালিত হবে।তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে কেউ সন্ত্রাস ও অস্থিরতা তৈরি করলে মোকাবিলা করতে হবে। বিরোধীদলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।ইশতেহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন করায় আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। অনেক বাধা আসতে পারে। কারণ নির্বাচন বর্জনকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701053,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশ এক ব্যক্তির হাতে জিম্মি," বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা দেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, এই সরকারের অকথ্য নির্বাচন ও অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দী হয়ে এখনো এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়ণের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে। কারাবন্দী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রুপক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাগারে থাকা সকল নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর আহবান জানান রিজভী।তিনি বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা বাংলাদেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ ডামি, কেউ মনোনীত, কেউ নৌকা, কেউ ভোট জমাতে হায়ারকৃত- সবাই তার প্রার্থী। কোন আসনে কে পাশ কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত। ২৮ পারসেন্ট থেকে ৪১ পারসেন্ট ভোট কাউন্ট করার ফর্মূলাও তার। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল মাইক্রোস্কোপিক।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ডামি সরকার অবৈধ ক্ষমতার উষ্ণতা অনুভব করলেও বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতে কাঁপছে কৃষক শ্রমিক দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষ। মানুষ যেখানে একবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে কিভাবে শীতবস্ত্র জোগাড় করবে? ডামি মন্ত্রীরা কি খেয়ে মন্ত্রিত্ব উদযাপন করবেন পত্রপত্রিকায় সেই তালিকা প্রকাশ করলেও বর্তমানে দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন অর্ধাহারে অনাহারে। ",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701142,ভোরের কাগজ,১৪ জানুয়ারি ২০২৪, সরকারই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে," রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থীরা বিশেষ সভা আহবান করেছেন। সভায় দলীয় প্রার্থীরা ছাড়াও পার্টির সিনিয়র নেতারা অংশ নিবেন। বেলা ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সভা সফল করতে জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন প্রার্থী ছাড়াও দলটির কয়েকজন শীর্ষনেতা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সভাসমাবেশে পার্টির যে তিনজন নেতা সবসময় জনবলের যোগান দেন সে তিনজন সিনিয়র নেতাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা-১২ আসনের জাপা মনোনীত প্রার্থী জানান, রবিবার সারাদেশ থেকে দলীয় প্রার্থী এ সভায় শরিক হবেন এবং তারা কি কারণে পরাজিত হয়েছেন এবং পার্টির শীর্ষ নেতাদের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরা হবে। যদিও শুক্রবার দলটি থেকে এক জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারের সভায় নেতাকর্মীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।জাপার কয়েকজন প্রার্থী জানান, নির্বাচনের সময় আমাদের হাত-পা বেঁধে সাঁতরাতে দেয়া হয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা তো দূরের কথা, আমাদের নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়েছি। প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। তা জানানোর জন্য ফোন দেয়া হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রিসিভ করেননি। আমরা মূলত, নির্বাচনের সময় আমাদের প্রতি যে বিরূপ আচরণ করা হয়েছে রবিবার তার ব্যাখ্যা দাবি করবো। গত বুধবার জাপার বনানী কার্যালয়ে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অপসারণের বিষয়ে সে সময়ে উপস্থিত জাপার একাধিক নেতা জানান, চেয়ারম্যানের অপসারণের বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না। তবে, পরাজিত প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রবিবারের সভা প্রসঙ্গে জাপা কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, এ সভা কারো বিরুদ্ধে নয়। সারাদেশের দলের প্রার্থীরা এ সভা আয়োজন করেছে। কি কারণে প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তা তারা তুলে ধরবেন।এদিকে, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। সে দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তবে, যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এভাবে প্রকাশ্যে করা ঠিক হয়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডির একটি অফিসে জাতীয় পার্টির কয়েকজন শীর্ষনেতাসহ পরাজিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী একটি বৈঠকে মিলিত হন। সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন বুধবার দলীয় প্রার্থীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করেন। তার জের ধরে শুক্রবার দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জাপা সূত্র জানিয়েছে, এই অব্যাহতির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থীরা বিশেষ সভা আহবান করেছেন। সভায় দলীয় প্রার্থীরা ছাড়াও পার্টির সিনিয়র নেতারা অংশ নিবেন। বেলা ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সভা সফল করতে জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন প্রার্থী ছাড়াও দলটির কয়েকজন শীর্ষনেতা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সভাসমাবেশে পার্টির যে তিনজন নেতা সবসময় জনবলের যোগান দেন সে তিনজন সিনিয়র নেতাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা-১২ আসনের জাপা মনোনীত প্রার্থী জানান, রবিবার সারাদেশ থেকে দলীয় প্রার্থী এ সভায় শরিক হবেন এবং তারা কি কারণে পরাজিত হয়েছেন এবং পার্টির শীর্ষ নেতাদের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরা হবে। যদিও শুক্রবার দলটি থেকে এক জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারের সভায় নেতাকর্মীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।জাপার কয়েকজন প্রার্থী জানান, নির্বাচনের সময় আমাদের হাত-পা বেঁধে সাঁতরাতে দেয়া হয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা তো দূরের কথা, আমাদের নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়েছি। প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। তা জানানোর জন্য ফোন দেয়া হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রিসিভ করেননি। আমরা মূলত, নির্বাচনের সময় আমাদের প্রতি যে বিরূপ আচরণ করা হয়েছে রবিবার তার ব্যাখ্যা দাবি করবো। গত বুধবার জাপার বনানী কার্যালয়ে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অপসারণের বিষয়ে সে সময়ে উপস্থিত জাপার একাধিক নেতা জানান, চেয়ারম্যানের অপসারণের বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না। তবে, পরাজিত প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রবিবারের সভা প্রসঙ্গে জাপা কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, এ সভা কারো বিরুদ্ধে নয়। সারাদেশের দলের প্রার্থীরা এ সভা আয়োজন করেছে। কি কারণে প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তা তারা তুলে ধরবেন।এদিকে, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। সে দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তবে, যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এভাবে প্রকাশ্যে করা ঠিক হয়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডির একটি অফিসে জাতীয় পার্টির কয়েকজন শীর্ষনেতাসহ পরাজিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী একটি বৈঠকে মিলিত হন। সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন বুধবার দলীয় প্রার্থীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করেন। তার জের ধরে শুক্রবার দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জাপা সূত্র জানিয়েছে, এই অব্যাহতির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থীরা বিশেষ সভা আহবান করেছেন। সভায় দলীয় প্রার্থীরা ছাড়াও পার্টির সিনিয়র নেতারা অংশ নিবেন। বেলা ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সভা সফল করতে জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন প্রার্থী ছাড়াও দলটির কয়েকজন শীর্ষনেতা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সভাসমাবেশে পার্টির যে তিনজন নেতা সবসময় জনবলের যোগান দেন সে তিনজন সিনিয়র নেতাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা-১২ আসনের জাপা মনোনীত প্রার্থী জানান, রবিবার সারাদেশ থেকে দলীয় প্রার্থী এ সভায় শরিক হবেন এবং তারা কি কারণে পরাজিত হয়েছেন এবং পার্টির শীর্ষ নেতাদের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরা হবে। যদিও শুক্রবার দলটি থেকে এক জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারের সভায় নেতাকর্মীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।জাপার কয়েকজন প্রার্থী জানান, নির্বাচনের সময় আমাদের হাত-পা বেঁধে সাঁতরাতে দেয়া হয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা তো দূরের কথা, আমাদের নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়েছি। প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। তা জানানোর জন্য ফোন দেয়া হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রিসিভ করেননি। আমরা মূলত, নির্বাচনের সময় আমাদের প্রতি যে বিরূপ আচরণ করা হয়েছে রবিবার তার ব্যাখ্যা দাবি করবো। গত বুধবার জাপার বনানী কার্যালয়ে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অপসারণের বিষয়ে সে সময়ে উপস্থিত জাপার একাধিক নেতা জানান, চেয়ারম্যানের অপসারণের বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না। তবে, পরাজিত প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রবিবারের সভা প্রসঙ্গে জাপা কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, এ সভা কারো বিরুদ্ধে নয়। সারাদেশের দলের প্রার্থীরা এ সভা আয়োজন করেছে। কি কারণে প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তা তারা তুলে ধরবেন।এদিকে, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। সে দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তবে, যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এভাবে প্রকাশ্যে করা ঠিক হয়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডির একটি অফিসে জাতীয় পার্টির কয়েকজন শীর্ষনেতাসহ পরাজিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী একটি বৈঠকে মিলিত হন। সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন বুধবার দলীয় প্রার্থীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করেন। তার জের ধরে শুক্রবার দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জাপা সূত্র জানিয়েছে, এই অব্যাহতির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।",Negative https://www.bhorerkagoj.com/politics/701040,ভোরের কাগজ, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বর্জনকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে: কাদের," বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা দেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, এই সরকারের অকথ্য নির্বাচন ও অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দী হয়ে এখনো এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়ণের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে। কারাবন্দী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রুপক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাগারে থাকা সকল নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর আহবান জানান রিজভী।তিনি বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা বাংলাদেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ ডামি, কেউ মনোনীত, কেউ নৌকা, কেউ ভোট জমাতে হায়ারকৃত- সবাই তার প্রার্থী। কোন আসনে কে পাশ কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত। ২৮ পারসেন্ট থেকে ৪১ পারসেন্ট ভোট কাউন্ট করার ফর্মূলাও তার। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল মাইক্রোস্কোপিক।বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ডামি সরকার অবৈধ ক্ষমতার উষ্ণতা অনুভব করলেও বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতে কাঁপছে কৃষক শ্রমিক দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষ। মানুষ যেখানে একবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে কিভাবে শীতবস্ত্র জোগাড় করবে? ডামি মন্ত্রীরা কি খেয়ে মন্ত্রিত্ব উদযাপন করবেন পত্রপত্রিকায় সেই তালিকা প্রকাশ করলেও বর্তমানে দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন অর্ধাহারে অনাহারে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff3d24211, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ দমনমূলক," বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমা নালেতসোভি ভুলে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ ‘দমনমূলক’। এতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকারবিষয়ক এই র‌্যাপোর্টিয়ার গত শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যে দমনমূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ এবং পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য আমার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে, চলাকালীন এবং পরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংগঠন করার অধিকার এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff690648, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নজরুলের নির্বাচনী বিপুল সামগ্রীসহ পিকআপ জব্দ," চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের ট্রাক মার্কার চার বক্স টি-শার্ট, ২ কার্টন শীতের পোশাক (হুডি) ও প্রতীকী ট্রাকের সাতটি কার্টনসহ একটি পিকআপ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আবদুল বাসির নামে এক ছাত্রলীগকর্মী ও পিকআপচালককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ফুয়েল স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা চত্বরে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছিলাম। উপজেলার পুকুরিয়া ফুয়েল স্টেশন এলাকায় টহলরত অবস্থায় একটি পিকআপকে আমাদের সন্দেহ হয়।পরে পিকআপে দায়িত্বে¡ থাকা মো. বাসির নামে এক ছাত্রলীগকর্মী ও চালককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহারের জন্য এসব নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা), সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ট্রাক), সাবেক এমপি গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস (কেটলি), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী নবাব মো. শামসুল হুদা (মোমবাতি), এনপিপির প্রার্থী আব্দুল হালিম (আম), বিএনএফের প্রার্থী নুরুল ইসলাম জেন্টু (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন (লাঙল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ce229b863, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, একতরফা নির্বাচনেও তারা গভীর রাতে সিল মেরে রেখেছে: রিজভী," একতরফা নির্বাচনেও আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেছেন, ‘আতঙ্ক থেকে তারা গভীর রাতে সিল মেরে রেখেছে।’অবৈধ নির্বাচন বর্জন ও হরতালের সমর্থনে আজ রবিবার সকাল ৯টায় কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে মিছিল শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।আজ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘আজকে সেই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রে ভোটার নেই। এ নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। এই একতরফা নির্বাচনেও আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। আতঙ্ক থেকে তারা গভীর রাতে সিল মেরে রেখেছে। কারণ, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে।’‘আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে’ জানিয়ে দেশবাসীকে আজকের হরতাল সফল করার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তারিক উজ জামান, কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. শরিফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রশিক্ষণ সম্পাদক এম আর গণি (মোস্তফা), মহিলা দল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু, কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-পাঠাগার সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন লিপি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, মাজহারুল ইসলাম মারুফ, নাসরিন রহমান পপি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদেক মিয়া, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম রানা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ ধর্ম সম্পাদক জিল্লুর রহমান কাজল, ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, নিপা, সীমা, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, মাদ্রাসা ই আলিয়ার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, নাসির মিজি, হোসাইন, ফজলে রাব্বি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পরিকল্পনা সম্পাদক স্বাধীন, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, ঢাকা জেলা বিএনপি নেত্রী তানিয়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ সভাপতি সায়রা চন্দ্রা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. জিসান, আশরাফুল আসাদ, ফরহাদ, রামপুরা থানা ছাত্রদল সভাপতি আসাদুজ্জামান ফয়সাল, সহ-সভাপতি রাকিব, সবুজ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল রানা, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিক ও রফিকুল, মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক মো. শাহ আলম ও সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. বাকিবিল্লা, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য হাজী আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহিম চৌধুরী, ফজলে কাদের সোহেল, হাজী আবু বক্কর সিদ্দিক, এইচ এম আবু সাঈদ, মহানগর দক্ষিণের আনোয়ার হোসেন রিপন, যুবদল নেতা আল আমিন, মহানগর নেত্রী ফারিয়া, নিধু, রাকিব, শাহাদাৎ, তাঁতীদলের হান্নান খান, আলম, হায়দার, কামাল, জহির, রুবেল, সাইফুল, শাহীন, নয়ন, জসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন, ইব্রাহিম,সদস্য হাসান, সদস্যসচিব আজাদ খান, নাসির, সাকিবুল হুসাইন বাবু (সাবেক আহবায়ক,৩৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল), সদস্য মাসুদ, ইব্রাহিম খাঁন, মো. হাসান শিকদার (সদস্যসচিব, আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মোহাম্মদ রিজভী আহমেদ শাওন (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ১০০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. শাহিন (সদস্যসচিব, ১০০নং ওয়ার্ড, আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), আদাবর থানা ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদকন মো. মমিন খান, ১০০নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সাবেক সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান জসিম, ৩০নং ওয়ার্ড ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন, মিজানুর রহমান (মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল), রিয়াজ উদ্দিন রনি (যুগ্ম আহ্বায়ক ১৪নং ওয়ার্ড যুবদল), রাকিব হাসান রুবেল (সহ সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল), মাজহারুল ইসলাম রাসেল (সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পুর থানা ছাত্রদল), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের মিজান, নাহিদসহ নেতৃবৃন্দ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff2b9f72, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থের পর পূর্বনির্ধারিত ফলই ঘোষিত হবে," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারি (আজ রবিবার) নির্বাচনী নাটকের শেষ অঙ্ক মঞ্চায়িত হওয়ার পর পূর্বনির্ধারিত ফলাফলই শুধু ঘোষিত হবে।’ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে আজ অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের প্রসঙ্গ টেনে দৈনিক আমাদের সময়কে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার দৈনিক আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন করছেনÑ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির এই সুদীর্ঘ সময়ের আন্দোলনে সত্যিকার অর্জন কী? উত্তরটি উপলব্ধি করতে হলে সবাইকে দেশের বিরোধী দলের ওপর বর্তমান সরকারের চরম অত্যাচার-নির্যাতন তথা মিথ্যা-বানোয়াট মামলা-হামলার বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে বিশ্লেষণ করলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রথমত সরকার ভেবেছিল নির্বাচনী লোভ দেখিয়ে বিএনপিকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দেবে। বাস্তবতা হচ্ছে উল্টো। একদিকে তারা বিএনপির জাতীয়তাবাদী আদর্শে দীক্ষিত নেতাদের পথভ্রষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে, অন্যদিকে বাস্তবে এই ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলায়’ আওয়ামী লীগের জোটের দল এবং বিপরীতে তাদের গৃহপালিত বিরোধী দলের মধ্যে সিট ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরাই হযবরল হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচন যে সম্পূর্ণ প্রহসনের একটি নির্বাচন, সেটা এত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এটা আর কাউকে ব্যাখ্যা করে বলে দিতে হচ্ছে না।ড. মঈন খান বলেন, দ্বিতীয়ত, বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সন্ত্রাসী হিসেবে মিথ্যা আখ্যা দেওয়ার অপপ্রয়াসও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বরং আওয়ামী লীগের এহেন হীন চক্রান্ত দেশে-বিদেশে বিরোধী দলের ওপর সহিংস ক্র্যাকডাউন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তৃতীয়ত, সংক্ষেপে বলতে গেলে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই অব্যাহত প্রচেষ্টা সরকারি দলের লগি-বৈঠার আন্দোলনের বিপরীতে দেশে-বিদেশে গুরুত্ব পেয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে দেশের বিরোধীদলীয় কোটি কোটি নেতাকর্মীর মধ্যে আস্থা ও নৈতিক বিজয়ের সাহস জুগিয়েছে।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার সমর্থকদের আরেকটি সমালোচনা হচ্ছেÑ বিএনপি বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়ে আন্দোলন করেছে, সেটাও সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত একটি প্রচারণা। কোথাও একবারের জন্যও বিএনপির কোনো নেতা এ রকম কোনো কথা বলেছেনÑ কেউ দেখাতে পারবে না। বরং এ পরিপ্রেক্ষিতে উল্টোটিই সত্যি। কেননা, সরকার প্রকাশ্যে বিদেশিদের কাছে গিয়ে আগামীতে বহালতবিয়তে ক্ষমতায় থাকার জন্য সহায়তা চেয়েছে। এমনকি দুটি দেশের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছে, যা নিয়ে জনসমক্ষে প্রচণ্ড ব্যাকলেশ (তীব্র প্রতিক্রিয়া) হয়েছে।’বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এইÑ বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আছে এবং এ অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম করে যাবে। বলা বাহুল্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, এটা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশে আজ নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপরে কারও কোনো আস্থা আর নেই। শুধু বিরোধীদলীয় বক্তিরাই যে এই নির্বাচন বর্জন করছে তাই নয়, সরকারি দলের ভোটারদেরও এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ তারাও ইতোমধ্যে জানেন কোন সিটে কে এমপি হবেন। আজকের নির্বাচনী নাটকের শেষ অঙ্ক মঞ্চায়িত হওয়ার পরে সেই পূর্বনির্ধারিত ফলাফলই শুধু ঘোষিত হবে।’আবদুল মঈন খান বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সরকার হয়তো ভেবেছে আজকের নির্বাচনে তাদের বিজয় হবে। অথচ ভাগ্যের কী পরিহাস, আজকের এই প্রহসনের নির্বাচনে সরকারের চরম পরাজয় সংঘটিত হচ্ছে। আর এ পরাজয়ের মাধ্যমে নৈতিকতা ও বিবেকের বিবেচনায় আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব আজ দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সামনে মারাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।’ ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff2be2f6, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৮ দিন আগে মারা যাওয়া আনসার নির্বাচনী দায়িত্বে," আনসার সদস্য মো. মহসিন আট দিন আগে মারা গেছেন। কিন্তু আজকের নির্বাচনে তার জন্য দায়িত্ব বরাদ্দ করা হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকার বোয়ালখালী উপজেলায়। গতকাল শনিবার এই তথ্য জানা গেছে।আনসার ভিডিপি সদস্যদের দায়িত্বে থাকা প্রীতম সর্দার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি আসলে বদলি দায়িত্ব হিসেবে এসেছি। অর্পণ বড়ুয়া নামে আমার আরেক সহকর্মী এই তালিকা তৈরি করেছিলেন। শুনেছি মো. মহসিন আরও আটদিন আগে মারা গেছেন। তিনি বলেন, মহসিন মারা যাওয়ার পর এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সম্ভবত ভুলে তার নাম এসেগেছে।দায়িত্ব পালনকারী ১২ জনের তালিকায় মহসিনের নাম ছয় নম্বরে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইউনুচ। বাড়ি আগ্রাবাদ। তার নামের পাশে দেওয়া মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff3cf763, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৩ ওসিকে নির্বাচন কার্যক্রমে বিরত থাকার নির্দেশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নোয়াখালী সদর, চরজব্বার ও সেনবাগ থানার ওসিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচনী সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা পুলিশ কর্মকর্তারা হলেনÑ সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, সেনবাগ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সুধারাম মডেল থানায় কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম, সেনবাগ থানায় পুলিশ লাইন্সের আরওআই আমির হোসেন ও চরজব্বার থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ন কবিরকে।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোটের পর ওই তিন ওসিকে স্বপদে বহাল করা হবে।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন প্রচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সদর ও সুবর্ণচর থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং সেনবাগ থানার ওসির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdef988fd , আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪," স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, আহত ১০"," নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও তার নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈগল প্রতীকের ১০ সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এ হমলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম।স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ৪টার দিকে ঈগল প্রতীকের সমর্থক আফজাল, মুক্তার মেম্বার, নাসির মেম্বার ও লতিফের বাড়িতে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালায়। এছাড়া নৌকার সমর্থকদের হামলায় ১০ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে মেরাজ উদ্দিন ভূয়া নামের এক সমর্থককে গুরুতর অবস্থায় শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা জানান, বিকেলে তিন-চারটি মাইক্রোবাসে এসে নৌকার সমর্থকরা শিমুলিয়া বাজারে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেন। অফিসে থাকা চেয়ার, টেবিল ও পোস্টার ছেড়ে ফেলেন। একই সময় দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক নাসির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। এ সময় বাড়ির জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য তাদের বাড়িতে নৌকার প্রার্থীর লোকজন হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আমাকে সরানো যাবে না। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বলেছেন ব্যবস্থা নেবে।’শিবপুর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ্ মো. সজীব জানান, এ বিষয়ে অবহিত হয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বিস্তারিত বলা যাবে।এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. সজীব, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) মেজবাহ উদ্দিন ও শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdf049b82, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না: সিইসি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে যেকোনো সংকট সমাধান সম্ভব।’আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন সিইসি। তার এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।সিইসি বলেন, ‘কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোট গ্রহণ শুরুর অপেক্ষা।’ ভাষণে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বা অংশগ্রহণমূলক নয়’ মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। একইসঙ্গে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান। সিইসি জানান, নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও ১৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ইসি।এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdf196dd6, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো তিন ওসিকে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নোয়াখালীর চরজব্বার, সেনবাগ ও সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্বাচনের সব কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।আজ শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা পুলিশের তিন কর্মকর্তা হলেন সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, সেনবাগ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।নির্বাচন চলাকালে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলমকে সুধারাম মডেল থানায়, পুলিশ লাইন্সের আরওআই আমির হোসেন সেনবাগ থানায় ও কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ন কবিরকে চরজব্বার থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন প্রচারণা চলাকালে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সদর ও সুবর্ণচর থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং সেনবাগ থানার ওসির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোটের পর ওই তিন ওসিকে স্বপদে বহাল করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdb16333e1, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল দূতাবাস," আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কায় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। এ অবস্থায় দূতাবাস মার্কিন নাগরিকদের কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলেছে।মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিনে দূতাবাস বন্ধ থাকবে।সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সেদিন বন্ধ থাকবে। নির্বাচন কেন্দ্র করে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মনে রাখা উচিত, যদিও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে, তবে তা সংঘর্ষ ও সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন বা পরের দিন বা সপ্তাহগুলোতে সামান্য বা কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সহিংসতা ঘটতে পারে।মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের যে কোনো বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। স্থানীয় ঘটনাসহ আপনার আশপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং কী ঘটছে সে বিষয়ে অবহিত থাকার জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।এ ছাড়া মোবাইল ফোনে সব সময় চার্জ রাখা এবং যে কোনো জায়গায়চলাফেরার ক্ষেত্রে বিকল্প সবগুলো পথের খোঁজ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণ করেন। তাদের চলাচল ও ভ্রমণ বিধিনিষেধের অধীন। বিক্ষোভ ও নাগরিক অস্থিরতার সময় এ ভ্রমণ বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় দূতাবাসের সেবা বিঘিœত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।সর্বশেষ নিরাপত্তা তথ্যের জন্য, বিদেশ ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকদের নিয়মিতভাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdd921e55, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাবি শিক্ষার্থীরা," আগামীকাল রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগে থেকেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশকিছু সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল। আজ ও আগামীকাল হরতালের কর্মসূচি পালন করছে বিরোধী দলগুলো। আর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।এছাড়া, গতকাল রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। ট্রেনেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতরাতে রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪ জন পুড়ে মারা গিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।এদিকে নির্বাচনের পরদিন সোমবার থেকেই চালু হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্লাস-পরীক্ষা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দূরবর্তী জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে পৌছানোর দায়িত্ব নেওয়া উচিত অথবা, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে খোলা ফেসবুক গ্রুপ 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার' এ অনেককেই এই দুই দাবির পক্ষে পোস্ট করতে দেখা গেছে।তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, ছুটি বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নাই। আগে থেকেই সবকিছু নেগেটিভ ধরে নেওয়া কাঙ্খিত না। তারা চান, সকলের সহযোগীতাই সুষ্ঠুভাবে দেশটি চলুক। সরকার জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে এবং করবে।রাবি পরিবার গ্রুপে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরিফ লিখেছেন, ‘..রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বলে আমার মনে হয় না। শীতকালীন ছুটি শেষে নির্বাচনের পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত পুনর্বিবেচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে চরম দুশ্চিন্তা এবং আতঙ্কের মধ্যে ফেলে রেখেছেন তারা। নির্বাচনকালীন দেশের যে পরিস্থিতি, এমতাবস্থায় কোন অভিভাবক তার সন্তানকে ভ্রমণ করতে দিতে ইচ্ছুক না।...'ওমর শরিফের পোস্টের সঙ্গে একমত পোষণ করে একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সুমি পারভিন লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সাধারণ ছাত্রদের কথা না ভাবে, তাহলে সেটা কেমন বিশ্ববিদ্যালয়! যারা দূর থেকে আসবে, তাদের নিরাপত্তার কথাও একবার ভাবা দরকার। এই পরিস্থিতিতে কোনো বাবা-মা বা, পরিবারই তাদের ছেলে-মেয়েকে ভার্সিটিতে ফিরতে দিতে চাইবেন না। আর এরই মাঝে ক্লাস ছাড়াও পরীক্ষা, ভাইভা, টিউটোরিয়াল রাখছে বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীদের চিন্তায় আর নিরাপত্তাহীনতায় না রাখলে এদের বোধহয় ভালো লাগে না!'অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাররম হোসাইন আরেক পোস্টে লিখেছেন, ‘রাবির শিক্ষার্থীরা হতাশায় সময় পার করতেছে। আমরা সবাই মোটামুটি ধরেই নেই, ট্রেন জার্নি নিরাপদ। কিন্তু সেই ট্রেনে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে। এদিকে রাবি প্রশাসন ৮ তারিখ ক্লাস শুরুতে অটল আছে। শিক্ষার্থীরা কিভাবে ক্যাম্পাসে পৌছাবে? জীবনের জন্য সবকিছু, শিক্ষার জন্য জীবন না। রাবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,হয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে পৌছানোর দায়িত্ব নেওয়া হোক, না হয় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হোক।’তবে, ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘এ ধরণের (ছুটি বাড়ানোর) কোনো পরিকল্পনা নাই। কারণ আগে থেকেই যদি সবকিছু আমরা নেগেটিভ ধরেই নিই, এটি আসলে কাঙ্খিত না আমাদের কারোর জন্যই। আমরা চাইবো যে, আমাদের সকলের সহযোগীতাই সুষ্ঠুভাবে দেশটি চলুক। জাতীয় প্রশ্নে যেন আমাদের কোনো বিভেদ না থাকে। মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে মনে হয় এ ধরণের (ছুটি বাড়ানোর) কোনো প্রত্যাশা করা, কাউকে সহযোগিতা করা কিংবা এধরনের চিন্তাভাবনা করা সমীচীন বলে আমি মনে করিনা।’শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করেন কিনা এবং পারলে এটা কিভাবে সম্ভব হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশে সরকার আছেনা? এখানে কারো ব্যক্তিগত মতামতো আসেনা, যেখানে রাষ্ট্রীয় বিষয়। সরকারতো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। আমরা আগেই এতো কিছু ভেবে নিবো, তার মানে কি কেউ ডিকটেট করছে যে, এই জিনিসগুলো হবেই? সেজন্য যেটি হবে, সেটি নিয়ে এতো কথা না বলায় মনে হয় ভালো। কারণ এটারতো কোনো নিশ্চয়তা নেই। আশঙ্কা মানুষের থাকে এবং সেটা নিশ্চয় সরকারের মাথায় আছে। সরকার জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে এবং করবে। আমরা সকলেই সহযোগিতা করলে, কেউ পরিস্থিতি অতোটা খারাপ অবস্থায় নিতে পারবেনা।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd99ce51c, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারও নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন," চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে আবারও নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই নির্বাচনী অফিসের মালামাল পুড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন নৌকা প্রতীকের শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম টিয়া।আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুরের ওই নির্বাচনী অফিসে আগুনের ঘটনা ঘটে।তৌহিদুল আলম বলেন, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে শিকারপুরের নির্বাচনী অফিসের ব্যানার, পোস্টার, টেবিলক্লথ ও অফিসের সামিয়ানা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্বাচনী অফিসটি পুড়িয়ে ফেলার আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকার আরও ৪টি নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdac4ce259, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, আনফ্রেলের উদ্বেগ নির্বাচনে প্রকৃত প্রতিযোগিতা নেই," দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (আনফ্রেল) আগামীকাল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছেÑ প্রকৃত নির্বাচন এবং নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অভাবের ঝুঁকিতে থাকা এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক নীতি ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড (যেগুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বৈধতা মূল্যায়ন করে) সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপনকরে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে। এশিয়ায় গণতন্ত্র প্রচার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কাজ করা থাইল্যান্ডভিত্তিক স্বাধীন এই সংস্থা স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ বিবৃতি প্রকাশ করে।আনফ্রেল বিশ্বাস করে যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তির অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত নির্বাচন এবং নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অভাবের ঝুঁকি উদ্ভূত হয়েছে। এতে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, রাজনৈতিক স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা, নিরপেক্ষ তথ্যে সীমিত প্রবেশাধিকার এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ব্যাপকতার মতো উল্লেখযোগ্য নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের জন্ম হয়েছে।নির্বাচনী সহিংসতায় বিধ্বস্ত বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশ মূলত বিরোধী দলসমূহ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের টার্গেট করছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া, হাতবোমা নিক্ষেপ এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের খবর প্রকাশিত হয়েছে।এই সংঘর্ষের ফলে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন এবং দুঃখজনকভাবে প্রাণহানিও হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতা এবং নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের মাত্রাকে কম গুরুত্ব দেওয়া বিবৃতিগুলো নিরপেক্ষতা ও তদারকি ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে উদ্বেগকেই বাড়িয়ে তোলে।গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এই পরিস্থিতি জরুরি মনোযোগ এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।উল্লিখিত চ্যালেঞ্জগুলোকে আমলে নিয়ে আনফ্রেল অংশগ্রহণমূলক শাসনের ভিত্তি হিসেবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মৌলিক গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং প্রচারে নিজ ম্যান্ডেট পূরণে আনফ্রেল অবিচল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdad4eca95, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মেজর বনি," দলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা (মেজর বনি)। শুক্রবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মেজর বনি।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটি অত্যন্ত কৃশকায় ও তলাবিহীন একটি প্ল্যাটফরম। জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সক্ষমতা এ দলের নেই।’তিনি আরও বলেন, ‘একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হয়ে তৃণমূল বিএনপির মতো একটি দল থেকে প্রার্থী হয়ে আমি অত্যন্ত হীনমন্যতায় ভুগছি এবং আত্মদহনে দগ্ধ হচ্ছি। এটা আমার জন্য অমর্যাদাকর ও বেমানান। এ দল থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার জন্য তিনি নির্বাচনী এলাকা মনিরামপুরসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। একই সাথে তৃণমূল বিএনপির সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন মেজর বনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cdad4f71a15, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, অফিস পুড়িয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার প্রতিবাদ," ফরিদপুর-৩ আসনের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নির্বাচন অফিস পুড়িয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুর ১২টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক পৌর মেয়র অমিতাভ বোস। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদ ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd86b42cd, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত বিএনপির," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান আজ শুক্রবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন ঘিরে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বেলা ১১টায় তার গুলশানের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।এ সময় লিখিত বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘৭ জানুয়ারির একতরফা ও ভাগ-বাঁটোয়ারার যে নির্বাচনকে নিয়ে দেশে-বিদেশে হাস্যরস ও সমালোচনা চলছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার নিজ দায়িত্বে ও মরিয়া উদ্যোগে, প্রতিদিন সেটিকে প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ডামি প্রার্থী ও ডামি দল উৎপাদন করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা নজর দিয়েছে জোরপূর্বক ডামি ভোটার সৃষ্টিতে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও ৬২টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, তথাকথিত নির্বাচনকে একযোগে বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার ভোটার, প্রতিটি বিবেকবান ও সচেতন নাগরিক। দিশেহারা হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে, বানরের পিঠা ভাগাভাগির এই ধিকৃত আয়োজনকে, অবৈধ সরকার ‘অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত অংশ মিলে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে।’মঈন খান আরও বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অনুষ্ঠিতব্য অর্থহীন নির্বাচনে, কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখাতে, জনবিচ্ছিন্ন সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ। তাদের পরিকল্পিত অপপ্রয়াসে কেবল বাংলাদেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না, নির্বাচন নামের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বিষয়টি হয়ে উঠেছে শোষকগোষ্ঠীর নির্লজ্জতা ও দেউলিয়াত্বের প্রতীক। ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাতে তাদের সকল অপকৌশলের ফিরিস্তি আজ আন্তর্জাতিক অংশীজনদের কাছে সুস্পষ্ট যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে।’লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ও প্রতারণামূলক ভোটার উপস্থিতি উপস্থাপনের লক্ষ্যে, আওয়ামী লীগ ও আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রযন্ত্র অজস্র অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাঝে নির্বাচিত ১০টি উদাহরণ আমরা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।’(১) অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি, পাতানো নির্বাচনে কিছুটা বৈধতা অর্জনের খায়েশে, সমাজের খেটে খাওয়া ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপচেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। নিশিরাতের এমপিরা দেশ জুড়ে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন ভোট কেন্দ্রে না গেলে লক্ষ-লক্ষ সুবিধাভোগী মানুষ তাঁদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন, যা যুগের পর যুগ ধরে, সকল সরকারের অধীনে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে এলাকায়-এলাকায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাঁদের ভাতা বাতিল করে দিবে।(২) জবরদস্তিমূলক কৌশলে অনেক জায়গায় সরকারি ভাতাভোগীদের কার্ড জব্দ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে জনসম্মুখে ভোট না দিলে, সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা তাঁদের কার্ড আর ফেরত পাবেন না বলে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।(৩) এমনকি সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতাভোগীকে ভোট প্রদানে বাধ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতাভোগী প্রায় ৭০ লক্ষ এবং বিধবা ভাতাভোগী প্রায় ৩০ লক্ষ, অর্থাৎ এক কোটি ভোটারকে প্রশাসনের যোগসাজশে কেন্দ্রে উপস্থিত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার।(৪) নজিরবিহীন এক অপকৌশলে, সারা দেশের প্রায় ২০ লক্ষ সরকারি চাকরিজীবীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ানোর প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে প্রশাসনের বিশাল অংশ জুড়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের এই অপপ্রয়াস নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে দেশে-বিদেশে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।(৫) নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেবেন, এমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ভোট গ্রহণের উপর জোর দিয়েছে অবৈধ সরকার ও তার দলদাস রাষ্ট্রযন্ত্র। একইসঙ্গে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে। এর বাইরে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন লক্ষাধিক বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এবার তাদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।(৬) তথাকথিত নির্বাচনের দিন আনসার ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের বড় অংশ নানাবিধ দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার পোস্টাল ভোট নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেকের পরিবারের অন্তত পাঁচ জন করে সদস্যদের কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নে চিঠি দিয়েছে সদরদপ্তর। চিঠিতে প্রতিটি সদস্যের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার এই অপব্যবহার যেন ভেঙে পড়া রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দলীয়করণের এক নির্বাচনী উদাহরণ।(৭) দেশ জুড়ে পুলিশ সদস্যরা ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর মিশনে নেমে পড়েছে। খোদ ঢাকার পুলিশ কমিশনার দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি যথাসম্ভব নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের এসপি-ওসিরা সরাসরি যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায়, আহবান করছেন ভোট প্রদানে। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর রাজনৈতিক দায়িত্ব পুলিশকে কে বা কারা দিয়েছে? এই পক্ষপাতদুষ্ট ও দলীয় আচরণের সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি কি?(৮) ভোট দিতে না গেলে জাতীয় আইডি কার্ড বাতিল করা হবে, এমন হুমকিও দিচ্ছে কোনো-কোনো আওয়ামী লীগ নেতা। আবার তাদের কিছু দুষ্কৃতিকারী বলছে ভোট না দিলে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নৌকায় ভোট না দিলে মসজিদে নামাজ পড়তে দেওয়া হবে না কিংবা কবরস্থানে কবর দিতে দেওয়া হবে না ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এমন ঘৃণ্য বক্তব্যও দিচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।(৯) আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় কালো টাকার দৌরাত্ব। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নে নিমজ্জিত দলটির কোনো-কোনো নেতা ঘোষণা দিয়েছে, ভোটার আনতে পারলে লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই, এর প্রভাবে দলীয় কর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আরও গতিশীল হয়েছে। বেড়েছে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং ভোটার জড়ো করার নামে স্থানীয় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি। সমাজের ছিন্নমূল-প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কিছু কাঁচা টাকা দিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড় করাবার সাংগঠনিক অপপ্রয়াসে আওয়ামী লীগ লিপ্ত হলেও সেটি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বলে সামাজিক গণমাধ্যমে খেটে খাওয়া মানুষদের নানা সংক্ষুব্ধ ভিডিও থেকে আমরা দেখতে পাই।(১০) ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির যে ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে স্থাপন করেছে ২০২৪ সালে তার পুনরাবৃত্তি ঘটার সকল আলামত স্পষ্ট। আমরা জানতে পেরেছি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এবারও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাগামহীন জাল ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আশংকা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর স্বার্থে, নিজেদের ঐতিহ্য মোতাবেক, তারা অজস্র মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তির নামে নিজ দায়িত্বে ভোট দিয়ে দিবে। অর্থহীন এক উপনির্বাচনে ৫৩ সেকেন্ডে ৪৭ ভুয়া ভোটের যে বিশ্ব রেকর্ড তারা সৃষ্টি করেছে সেই ধারাবাহিকতায় ৭ জানুয়ারি যে আরও ভয়ঙ্কর ও কলঙ্কিত নির্বাচনী অনিয়ম ঘটাতে যাচ্ছে তা সর্বমহলে বোধগম্য।তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া, ভাতা কার্ডধারী অসহায় মানুষের জীবন-জীবিকাকে সংকটে ফেলা, কিংবা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ করা এর প্রত্যেকটিই আইনগত অপরাধ। বিশেষত যারা রাষ্ট্রীয় ভাতা পাচ্ছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এসব সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন। কোনো ব্যক্তি, পরিবার কিংবা দলের পক্ষ থেকে এটি কোনো অনুদান নয়। অতএব, ভাতা কার্ড বা সরকারি সুবিধার বিনিময়ে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য নন। ভোট কেন্দ্রে যাওয়া বা না যাওয়া, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা বর্জন করা, সকল সিদ্ধান্তই প্রতিটি সম্মানিত ভোটারের গণতান্ত্রিক অধিকার।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সুতরাং, আমরা গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি আহবান জানাবো, আপনারা এই অবৈধ সরকারের হুমকি- ধামকি সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করুন। যে বা যারা আপনাকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে তাদের নাম সংরক্ষণ করে রাখুন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ফুরিয়ে আসছে, তাই তাদের অন্যায় ও অবৈধ হুমকিকে পরোয়া করবার কোনো কারণ নেই। আমরা দ্যার্থহীনভাবে জানাতে চাই, ভাতা কার্ড জব্দ করে কিংবা ভাতা না দেওয়ার হুমকি দিয়ে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করার মতো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সর্বজনীন ভোট বর্জনের মাধ্যমে, চলমান আন্দোলনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহণে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে বাংলাদেশ শীঘ্রই মুক্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd86f5b03, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না: আইজিপি," ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।আইজিপি বলেন, যে বা যারা নাশকতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd7bb0e0b, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪,নৌকার মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হামলা," মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুরে নৌকার মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নৌকা সমর্থক ড. ইকবাল হক স্বপন এবং তানভীর হক তুরিনের নেতৃত্বে নৌকার একটি মিছিল ভবানীপুর এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের ক্যাম্পের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ক্যাম্পের ভেতরে কয়েকজন সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাঁচি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তবে নৌকার মিছিল দেখে ক্যাম্পের ভেতর থেকে সাউন্ড বক্সের ভলিউম বাড়িয়ে দেয়। এতে উত্তেজিত হয়ে নৌকা সমর্থকরা তাদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় ক্যাম্পের সাউন্ড বক্স, টেবিল এবং চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। ভাঙচুরের খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের আরও কিছু সমর্থক ঘটনাস্থলে ছুটে এলে উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক জুয়েল বলেন, ‘ক্যাম্পটি মূলত আমি পরিচালনা করি। ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পে ছিলাম না। ক্যাম্পে ভাঙচুরের খবর শুনে সেখানে যাবার পথে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনি। ক্যাম্পে গিয়ে দেখি সাউন্ড বক্স, চেয়ার, টেবিল সব ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি আমাদের পোস্টার পর্যন্ত তারা খুলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় আমার দুই কর্মীকে তারা মারধর করেছে।’বিষয়টি সম্পর্কে নৌকা সমর্থক ইকবাল হক স্বপনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি টেবিল এবং কিছু চেয়ার ভাঙচুরের সত্যতা পেয়েছি।’গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, ‘উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd6661fb52, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন বন্ধের আহ্বান চরমোনাই পীরের," রাষ্ট্রপতিকে অবিলম্বে বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। একইসঙ্গে তিনি দেশের জনগণকেও সর্বাত্মকভাবে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের আমির।দাবিগুলো হলোÑ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করা; বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া; নিবন্ধিত এবং আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকার গঠন করা; বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করবে; রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদলের কারাবন্দি সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দিতে হবে।রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অবিলম্বে বিদ্যমান কলঙ্কিত জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে দেশবিরোধী প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করুন। সকল রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকার গঠনের রূপরেখা ঘোষণা দিন।সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রেজাউল করীম বলেন, প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করুন। জনগণের ভোটাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন।সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd4d912e6, আমাদের সময়,০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে জামায়াতের ৩ দিনের কর্মসূচি," নির্বাচন বর্জন ও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ এবং শনিবার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালন করবে দলটি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রায় ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার নূরুন্নবী, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আমির আবুল বাশার বসুনিয়া ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আমির মাওলানা আবুল কালাম আযাদসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।’এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলসমূহ প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকেরই ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার অধিকার আছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সরকারের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের জন্য আমরা এ সব কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd57db8fd, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের নির্বাচন আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের: সালমান এফ রহমান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও একই আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জের। কারণ বিএনপি এই নির্বাচনকে নস্যাৎ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা চায় না দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। তারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত চায়।’আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্র ভিত্তিক উঠান বৈঠকের শেষ দিনে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জনসভায় সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘মা-বোনদের প্রধান চাহিদা গ্যাস, আমি পাস করলেই গ্যাস চলে আসবে। তবে আপনাদের অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করতে হবে। কারণ জীবন মানের উন্নয়ন পেতে হলে শেখ হাসিনাকেই প্রয়োজন।’তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন বিএনপির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা প্রতিনিয়ত ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোনো ফাইল সাইন করার আগে জনগণের কথা চিন্তা করেন। এই ফাইলে সাইন করলে আমার জনগণ কতটুকু উপকৃত হবে। এই সাইনে আমার জনগণের যেন ক্ষতির সম্মুখিন না হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ও কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।এ সময় অনুষ্ঠানে বেক্সিমকোর চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, পরিচালক সায়ান এফ রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভুইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. আরিফুর রহমান শিকদার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবন্য ভুইয়া, সহদপ্তর সম্পাদক নাহিদুল আলম নাদিমসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd59a8f9314, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের দিন গাড়ি চলাচলে শর্তারোপ," ভোটের দিন যানবাহন চলাচলে শর্ত আরোপ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। এ ছাড়া আজ শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন,নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ও জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন, চিকিৎসক ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।বিআরটিএর পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্যও একই নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে দেওয়া ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd5a553c818, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর," আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফটিকছড়িতে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ৪১টি আসনে তার দলের প্রার্থী রয়েছেন জানিয়ে নজিবুল বশর বলেন, ‘তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। প্রথমবার নিজ দলীয় প্রতীক ফুলের মালা এবং পরের বার প্রতীক ছিল নৌকা। ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে নিয়ে বরাবরই বিভক্তি ছিল। বিশেষ করে প্রয়াত নেতা ও সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য রফিকুর আনোয়ারের অনুসারীরা কখনোই নজিবুল বশরকে ফটিকছড়িতে মেনে নেননি।এবার সেই সাবেক এমপি প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীকে মাঠে আছেন। অতীতে নজিবুল বশরকে সমর্থন দেওয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়বও তরমুজ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের বিবদমান কোনো অংশকেই পাশে না পেয়ে বেকায়দায় পড়েন নজিবুল বশর। উল্টো নিজ বংশের আরও একজন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শেষ মুহূর্তে এসে কোণঠাসা হয়ে পড়েন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। আওয়ামী লীগ এবারও আসনটি তাকে ছেড়ে দেবেÑ তার এমন প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।নজিবুল বশর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমিসহ তরীকত ফেডারেশনের ৪২ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলাম। সংবিধান রক্ষার এ নির্বাচনে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আমেজে আমরা আমাদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালিয়ে আসছিলাম। ফটিকছড়িতে আমাদের দলীয় প্রতীক ফুলের মালার সমর্থনে ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা হয়েছে। ফটিকছড়িবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আবেগ আপ্লুত হয়েছি। কিন্তু ১৪ দলীয় জোট নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে এবং ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজিবুল বশর বলেন, সরকারের কোনো অসুবিধা হতে পারে, এমন কিছু করতে চাই না। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ফটিকছড়ি আসন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে দেশের অন্য আসনগুলোতে আমাদের প্রার্থী থাকবে। আমি ফটিকছড়িবাসীর সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।এ সময় তরীকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মোহাম্মদ শাহজালাল, আলমগীর আলম, কাজী নিজাম মোরশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। কিন্তু সংসদ সদস্য থাকাকালীন মাঝপথে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের রফিকুল আনোয়ারের কাছে হেরে যান। ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পাননি। নির্বাচনের পর বিএনপি ত্যাগ করে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন গঠন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে ভেড়েন নজিবুল বশর।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd4c458c9, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪," স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে পাঁচজন গুরুতর অবস্থায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছেন।গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তরের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মতলব উত্তরউপজেলার পাঠান বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসানের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থকরা। এ সময় তারা এম ইসফাক আহসানের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। তাদের মধ্যে ৫জন গুরুতর আহত মুক্তিরকান্দি গ্রামের মো. শরিফ সরকার (৩৮), একই গ্রামের জাকির হোসেন সরকার (৫১), আলমগীর সরকার (৩০), রাহিম সরকার (২২) এবং উত্তর শ্যামনগর গ্রামের মো. হারুন রশিদ প্রধানকে গুরুতর আহত অবস্থায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান সংবাদ সম্মেলে বলেন, ‘আমি যেখানেই নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছি, সেখানেই নৌকার প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী বাধার সৃষ্টি করছে। আজকেও আমার প্রচারলায় বারবার বাধা দিয়েছে। মতলব উত্তর বাগানবাড়ি ইউনিয়নে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সামনে-পেছন থেকে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। তবে সেখানে পুলিশ থাকায় তারা হামলা করতে পারেনি।’ইসফাক আহমেদ বলেন, ‘আমার একটি নির্বাচনী উঠান বৈঠকের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। শুধু তাই নয় মতলন সাদুল্লাপুর পাঠান বাজারে আমার ঈগল প্রতীকের ৫ জন সমর্থক আহত করেছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন তারা। গতকালকে তারা আমার নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে একজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। এসব হামলার ভিডিও চিত্র আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছি। এখানে নৌকার প্রার্থী আমার সকল কাজে সকল রকমের বাধা দিচ্ছেন। এমনকি তিনি বারবার নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করছেন। তার সমর্থকরা প্রশাসনের সামনেই মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে।’ঈগল প্রতীকের এ স্বতন্ত্রপ্রার্থী আরও বলেন, ‘এত কিছুর পরেও আমি মতলবের যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটারা আমাকে বলেছে, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় আর জনগণ যদি ভোট দিতে পারে। তবে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd3dafbfc, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনথেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ারার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মাইজভান্ডার রহমানিয়া মনজিলস্থ চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তার নিজ বাস ভবনে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ফটিকছড়িতে নৌকা প্রতীকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, সেহেতু উনার প্রতি সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্বও বটে। এমতাবস্থায় ফটিকছড়িতে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা আমি সমীর সমীচীন মনে করি না। তাছাড়া আমি যদি নির্বাচনের মাঠে থাকি তাহলে ভোটের যে সমীকরণ হবে, সেখানে আমার প্রাপ্ত ভোটের জন্য নৌকার বিজয় নিশ্চিতকরণের বাধার কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে ও ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আমি (নজিবুল বশরর মাইজভান্ডারী, এমপি) আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।’উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ নজিবুল বশর। পরে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন’ নামে একটি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে যোগ দিয়ে ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে জোটগত মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভান্ডারী জোটগত মনোনয়ন পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকা বঞ্চিত হন। এরপর নিজ দলের মনোনয়নে ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে ফটিকছড়িতে প্রার্থী হন ১৪ দলের নেতা ভান্ডারী। নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্য ভান্ডারীর পক্ষে তার ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী গণসংযোগ ও পথসভা করেন। তিনি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd40ac845, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে কর্মসূচি দিল বিএনপি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ এবং শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সারাদেশে হরতাল পালন করবে দলটি।আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।এর আগে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ১ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।রিজভী বলেন, ‘আমরা আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করতে দেশবাসী ও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাই।’সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনে সরকার নিজেরা পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ঘটিয়ে বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এ ছাড়া সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত হামলা করছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এ সব হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd4bccbb5, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী," ভোটের দুই দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মাদ রাকিব হোসেন। প্রশাসনের পক্ষপাত, সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন তিনি।শহরের ডিবি রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পক্ষপাত করা হচ্ছে। সকালে পোস্টার লাগালে দুপুরে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন কালো টাকার প্রভাবে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট ও কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।’তিনি বলেন, আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খোকন, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান, জেলা সদস্য মিনহাজুর রহমান বিন্তু, পৌর জাতীয় পার্টির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন খোকন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd05e5dd415, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের ছুটি নিয়ে ভুয়া চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রজ্ঞাপনের তথ্য বানোয়াট বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়- ‘সংশ্লিষ্টসবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি (রবিবার) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত একটি বানোয়াট প্রজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নয়।’ওই বানোয়াট প্রজ্ঞাপন আমলে না নেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd2a6351c, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকার সমর্থককে গুলি করে হত্যা," মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার ক্যাম্পে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডালিম সরকার নামের একজন নিহত হয়েছেন। তিনি নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ও একই এলাকার বাসিন্দা।গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় সোহেল মিয়া নামের একজন আহত হয়েছেন।অভিযোগ উঠেছে, কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছেন।সোহেল মিয়া অভিযোগ করেন, ‘মুন্সীকান্দি এলাকার নৌকার ক্যাম্পে অবস্থানের সময় কাঁচি প্রতীকের সমর্থকরা গুলি চালায়।এ সময় ডালিম সরকার গুলিবিদ্ধ হন।তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।’ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd3472154, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ," ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।পরে ভোট বর্জনের আহ্বানে পুরান পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে নেতাকর্মীরা।আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাট, পথচারী এবং যানবাহনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়। এতে অংশ নেন- ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক জামিল মুরসালিন, কেন্দ্রীয় নেতা অলিউজ্জামান সোহেল, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সদস্যসচিব মাকসুদা রিমা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সদস্যসচিব মো. বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মহিউদ্দিন রুবেল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি কাওছার আহমেদ রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহ নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসীর মামুন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি ইব্রাহীম কার্দী, সহসভাপতি পিয়াল হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম শেখ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাদিকা তামান্না রেমি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি সেলিম রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আল মাহমুদ, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আ. আজিজ, সহ সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিমনুর রহমান, ছাত্রনেতা জাহিদুল ইসলাম, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মজিবুল হক রিপন, সহসভাপতি মাহামুদ ভূইয়া, সহসভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শাহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান আবির, যুগ্ম সম্পাদক আহমদ উল্লাহ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাকিল মাহমুদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রনি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের জসিম উদ্দিন, সাহাদুর রহমান সজল,তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রকি, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সোবহান শাহ শাকিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের মো. রাসেল, হাম্মাদুর রহমান, জাহিদ হোসেন ফাহিম, সুমন প্রমুখ।এদিকে একই ইস্যুতে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বিভিন্ন সড়কে লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্রদল। এতে আরও অংশ নেন- ছাত্রদলের প্রথম সহসভাপতি তানজিল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম আবু জাফর, সহ সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হুসাইন, রুহুল আমিন হিমেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আল আমিন মৃধা, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহিন ফরাজিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।এ ছাড়া ভোট বর্জনের পক্ষে জনমত গড়তে রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে এই কর্মসূচি পালন করে।এতে অংশ নেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের প্রথম সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সহসভাপতি, আরিফ হাওলাদার, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাসেল মাহমুদ, এমজি মাসুম রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোখতার হোসেন, ফয়েজুল্লাহ ফয়েজ, মো. জসিম উদ্দীন, মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, সারোয়ার ভূঁইয়া রুবেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ফরাজী, ইউসুফ পাটওয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-ইকবাল কবির চাকলাদার,সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের বাবু,শিল্প বিষয়ক সম্পাদক-নুরুল আলম বিপ্লব, সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাহাদাত, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক-শফিকুর রহমান নোবেল, সদস্য মো. শামিম, আরএস নৈতিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। গণসংযোগ পুর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফকরুল ইসলাম রবিন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারির অবৈধ সরকারের তামাশার ভোট বর্জন করবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd38062ff, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, পিরোজপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১," পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মো. জাহাঙ্গীর পঞ্চাইত (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।জাহাঙ্গীর উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের মো. তোতাম্বর পঞ্চাইতের ছেলে। তিনি বাদুরা গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম শাহনেওয়াজের (কলার ছড়ি) পক্ষে কাজ করতেন জাহাঙ্গীর। মিরুখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. সোবাহান শরীফ অভিযোগ করেন, শামীম শাহনেওয়াজের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় মো. জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে বের হন। পথে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর (ঈগল) সমর্থকরা হামলা চালায়। হামলায় জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হন । প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccfb25052, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে আসার সময় নেই: জি এম কাদের," জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘এখন আর নির্বাচন থেকে সরে আসার সময় নেই। আমরা শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় এর ব্যত্যয় ঘটছে।’আজ বুধবার দৈনিক আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে নির্বাচন ভালো হয়নি। ভোটাররাও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। তাদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়ার মতো না। ব্যতিক্রম কিছু ঘটলে পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পার্টির যে সকল প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’নির্বাচনের পর সরকারের পতন হবে বলে বিএনপি বলছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে তারা এ কথা বলছেন। ভোটের পর সরকার ক্ষমতায় না থাকার কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিলে আমরা অংশগ্রহণ করতে সম্মত হই। এরপরেও অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না থাকলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’রংপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘মহানগর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাকে সমর্থন দিয়ে আলাদাভাবে আমার জন্য কাজ করছে। কিন্তু অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকলেও তাদের দলের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। রংপুরে নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে, যেখানে যাচ্ছি মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’এ দিকে, রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মাঠ তার দখলে রয়েছে। তাই তিনি সহজেই বিজয়ী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদাভাবে জি এম কাদেরের পক্ষে কাজ করছে।’রংপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম কাদের ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মণ্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে জি এম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনায়।এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। রংপুর জেলার সবচেয়ে বেশি ভোটার অধ্যুষিত এ আসনের ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৬টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন সাধারণ ভোটাররা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccfff63be, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের হানাহানি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে: রিজভী," আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের মাঝে হানাহানি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।আজ বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলোর আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগের ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হানাহানি শেষ পর্যন্ত মাফিয়া চক্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ইচ্ছেকৃতভাবে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ওবায়দুল কাদেরের আগাম কথায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গুপ্তবাহিনী নিজেরাই নিজেদের ‘নৌকা-লাঙ্গল-পাগল-ট্রাক-ঈগল’ প্রার্থীদেরকে হত্যা বা গুপ্তহত্যার পথও বেছে নিতে পারে। সুতরাং জনগণকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সম্ভব হলে আওয়ামী অপকর্মের সাক্ষ্য প্রমাণ রেকর্ড করে রাখুন।’কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ভারত সীমান্তে ফেলানীকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি আপনার-আমার প্রিয়তম বোন ফেলানী হত্যা দিবসে তাকে স্মরণ করে স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকারে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যয়ে নির্বাচন বর্জন করুন।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামী শক্তিকে ধোকা দেওয়ার জন্য ডামি নির্বাচনে স্বতঃ:উচ্ছ্বসিত আনন্দ নেই। এক কোম্পানির চার প্রোডাক্ট নৌকা-লাঙ্গল -ঈগল-ট্রাকের এই নির্বাচনী তামাশা গণপ্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসর অপশক্তি আবোলতাবোল বকতে শুরু করেছে। দেশজুড়ে নির্বাচনে ‘কে আসল আর কে ডামি’ এ সব নিয়ে প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে সারাদেশে কামড়া-কামড়ি, সন্ত্রাস-সংঘর্ষ-হানাহানি-খুনোখুনি চলছে সমানে। আওয়ামী অপশক্তি নিজেরা নিজেদের পাতা ফাঁদে আটকে পড়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার হুংকার দিচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘বিএনপির দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।” আর ওবায়দুল কাদেরের আশঙ্কা গুপ্তহত্যার। যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘‘অচিরেই নিষিদ্ধ করা হবে বিএনপিকে।” আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার কোনো চিন্তা আমাদের নেই।” তার মানে যে কোনো সময় তাদের চিন্তার পরিবর্তন হতে পারে। গণতন্ত্রকামী জনগণের সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ আদিম অসভ্য অবস্থা দেশে টেনে আনতে চাচ্ছে।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে হুমকি দিচ্ছে সেটি ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগেরই আর্তচিৎকার। এই ধরনের চিন্তা ও অপতৎপরতা সংবিধানবিরোধী, আইনের শাসনের পরিপন্থী। সরকার দীর্ঘদিন ধরেই একদলীয় ব্যবস্থার দিকে এগুচ্ছে। তবে তারা জনগণের প্রতিরোধের কারণে সফল হবে না।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গত ১৫ বছর ধরে অব্যাহতভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দুইবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত। আগামী ৭ জানুয়ারি তথাকথিত একদলীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি তৃতীয়বার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করতে যাচ্ছেন। তার দল ভারি করার জন্য রাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘনের উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্রের দায়ে সংশ্লিষ্ট কুশীলব সবাই সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশের মাধ্যমে মূলত অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুতরাং প্রজাতন্ত্রের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলব অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ আদেশ পালন থেকে আপনারা বিরত থাকুন। আগামী ৭ জানুয়ারির পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের পাতানো নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবেন না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd05e51b03, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ভুয়া নির্বাচনে সরকার টিকবে না," ভুয়া-ধাপ্পাবাজির নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়- ৭ জানুয়ারির ভোটের পর আপনারা কী করবেন? এই সরকারকে বুঝতে হবে, ২০২৪ সাল আর ২০১৪ সাল এক নয়। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন তিনি।ভোট বর্জনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আব্দুল মঈন খান পথচারী, যানবাহনে থাকা সাধারণ যাত্রী ও ফুটপাতের হকারদের হাতে লিফলেট তুলে দেন। এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষক দলের সহসভাপতি জামাল উদ্দিন খান মিলন, ভিপি ইব্রাহিম প্রমুখ।বহির্বিশ্বের চাপের পরও নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মঈন খান বলেন- নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। যে দিন মনোনয়ন দাখিল করেছে, সেই দিনই একতরফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে ঠিক করেছে কোন সিটে কোন এমপি হবে। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কোনো গুরুত্ব বহন করে না।‘আওয়ামী লীগ সরকার কেন ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়’- তার ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতার মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করে তারা অবৈধ সম্পদ-অর্থ-বিত্ত-বৈভব সংগ্রহ করছে, যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আজকে দেশে-বিদেশে সব পত্র-পত্রিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। গত ১৫ বছরে এই সরকার আমাদের জাতীয় দেনা ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। ২০ গুণ বেশি এই দেনার দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের ওপরে এবং সেটা তারা বিদেশে পাচার করেছে, লোপাট করেছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccfb9295c, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, আবারও নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন," চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে (শিবগঞ্জ) আবারও নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই নির্বাচনী অফিসের মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নৌকা প্রতীকের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম টিয়া।গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কানসাট ইউনিয়নের আব্বাস বাজারের প্রধান নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।তৌহিদুল আলম টিয়া জানান, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কানসাটের প্রধান নির্বাচনী অফিসের ব্যানার, পোস্টার, টেবিলক্লথ ও অফিসের সামিয়ানা পুড়ে গেছে। এ ঘটনা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নৌকার ৪টি অফিস (কানসাট, মোবারকপুর, মোহনবাগ ও দায়পুকুরিয়া) পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব অফিস পোড়ানোর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তাদের জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসই শুধু মিলেছে; কার্যত কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার পর শুধু পরিদর্শনই মিলেছে। এমনকি কারা এ ধরনের ঘটনা রাতের আঁধারে করছে তাদের চিহ্নিত করাও সম্ভব হয়নি প্রশাসেনর পক্ষ থেকে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিশুল জানান, সম্প্রতি তার একাধিক অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তার নেতাকর্মীদের ওপর হুমকি-ধামকি অব্যাহত আছে।তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক) লোকজনের হুমকি-ধামকি এবং কিছু কিছু জায়গায় প্রভাব বিস্তার করায় আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও ওইসব এলাকায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছে না। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়েনর তিনিটি ওয়ার্ডে এবং মরদানা এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত এই হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন। আশা করব পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবেন।’ শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পেট্রোল বোমা বা বিষ্ফোরক দ্রব্য দিয়ে নির্বাচনী অফিসটি পুড়িয়ে ফেলার আলামত পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cd00a8dda, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে গেলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী," সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, এমন অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী শাব্বীর আহমদ। আজ বুধবার বিকেলে সিলেট নগরীতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।লিখিত বক্তব্যে শাব্বীর আহমদ বলেন, ‘সরকার এবং নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু আমরা নির্বাচনী মাঠে সেরকম কোনো পরিবেশ পাচ্ছি না, তাই নির্বাচন করা খুবই কঠিন।’এই আসনে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবিরও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। পরে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ লিখিত আবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান। নির্বাচনের অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।সিলেট-৫ আসনে শাব্বীর আহমদসহ বিভাগে এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিনজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। অন্যরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের শংকর পাল।সিলেট-৫ আসনে নির্বাচনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমদ আল কবির (ট্রাক), স্বতন্ত্র প্রার্থী আনজুমানে আল ইসলাহের সভাপতি মাওলানা মো. হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলি (কেটলি), জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন আহমদ শিকদার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের বদরুল আলম (ডাব) ও মুসলিম লীগের (বিএমএল) খায়রুল ইসলাম (হাত-পাঞ্জা)। এই আসনে ভোটার ৪ লাখ ২ হাজার ৩২৫ জন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccf465dc5, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ভাঙ্গায় গভীর রাতে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন," ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৈখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ।এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদ মেম্বার বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের সমর্থিত কাজী জাফরউল্লাহর নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ছিল কৈখালী গ্রামে। আমরা রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরে যাই। কে বা কাহারা শেষ রাতের দিকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় নেভানো হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙ্গা থানা পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা অভিযোগ দায়ের করব।’ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান ভিপি শরীফ বলেন, ‘প্রতিপক্ষরা আমাদের গণজোয়ার সহ্য করতে না পেরে নৌকার ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এখনো আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cce8393cc, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন দেশের জন্য মহাবিপদ সংকেত: ১২ দলীয় জোট," একদলীয় সরকারের অধীনে আগামী ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে বিশ্বের কালো তালিকায় স্থান পাবে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে বিবিধ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে! আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় ‌সরকারের পদত্যাগ-তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি, ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন। জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একজন বিশ্বমানের স্বৈরাচার। এই সরকারের অধীনে শুধু নির্বাচন নয়! দেশের গণতন্ত্র-ভোটাধিকার এবং দেশের জনগণও নিরাপদ নয়। তাই জনগণ একদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে বর্জন করবে। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে যারা এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করবে তাদেরও একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মূলত প্রতিশোধ নিতে গিয়ে গত ১৫ বছর ধরে দেশে জুলুম-অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম করেছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এতে আরও অংশ নেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccd585205, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, আরও লুট করতে আ. লীগ একতরফা নির্বাচন করতে চায়: রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার আরও বেশি লুট করতে আবারও একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন একজন এমপি বাংলাদেশ থেকে লুট করে ইংল্যান্ডে কিভাবে পাচার করেছে। তারা এ রকম পাচার করতে চায়। দেশ ও দেশের জনগণ জাহান্নামে যাক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।’ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে আজ বুধবার মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, ‘অবৈধ সরকার একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই, জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এটি কোনো নির্বাচন নয়, এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। দেশবাসীকে বলব, আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ নির্বাচন বর্জন করুন, এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে সবাই একসাথে রুখে দাঁড়ান।’ এ সময় ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকূল ইসলাম, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা শোয়ায়েব খন্দকার, মোহাম্মাদ আশরাফুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল, মেহবুব মাসুম শান্ত, কামরুজ্জামান জুয়েল, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শওকত আরা উর্মি, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, মাজহারুল ইসলাম মারুফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মিজান রহমান, যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা খসরু আহমেদ হিরণ, অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক ইমরান, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদল নেত্রী নিপা খান প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccda4d523, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নাটোরে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ-আগুন," নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ এবং আরেকটি ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, প্রথমে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকার নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে কে বা কারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে একই রাতে পৌরসভা দক্ষিণ হাজরা নাটোর ক্যাম্পে দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় টাঙানো পোস্টার ও তিরপল। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় নৌকা সমর্থকরা গতকাল রাতে নির্বাচন ক্যাম্পিং শেষে বাড়ি যান। রাতের দিকে দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পে আগুন দেয়। এ সময় ক্যাম্পে টাঙানো পোস্টার ও ক্যাম্পের চারিদিকে থাকা তিরপল পুড়ে যায়। নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কর্মিশনার (ভূমি) জোবায়ের হাবিব, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকার নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে কে বা কারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি আরও বলেন, আরেকটি ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন। বিষয়টি তদন্তে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006EA5E, আমাদের সময়, ১৭ জুলাই ২০২৩, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশে রদবদল," আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল পুলিশের উচ্চপর্যায়ে বড় রদবদল করা হয়েছে। গতকাল রবিবার পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ১৬ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদমর্যাদার ৩৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ রদবদল করা হয়। এই রদবদল প্রক্রিয়ায় রাজশাহী ও খুলনার পুলিশ কমিশনার পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল, রংপুর এবং রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটের বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের পদায়ন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রদবদলের প্রজ্ঞাপন আদেশ অনুযায়ী, সিআইডির ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিককে ট্যুরিস্ট পুলিশে, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) একেএম নাহিদুল ইসলামকে সিআইডিতে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) রাজশাহী, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামানকে ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজে, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হককে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমানকে রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়েছে।এ ছাড়া রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মো. জামিল হাসানকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রখফার সুলতানা খানমকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমি, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন খানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছে।অন্যদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামানকে এসবিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহীল বাকীকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে, টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. ময়নুল ইসলামকে ঢাকার ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলে ও ঢাকা ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. নজরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।বদলি হওয়া ৩৫ জন অতিরিক্ত ডিআইজির মধ্যে রয়েছেন- গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমি, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদারকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খানকে পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টুটুল চক্রবর্তীকে নৌপুলিশে, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খানকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফারুক হোসনকে এসবিতে, রাজশাহী মহানগরী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সামসুন নাহারকে পুলিশের এসবিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানাকে এসবিতে এবং রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এএফএম আনজুমান কালামকে পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়ন করা হয়েছে।একই প্রজ্ঞাপনে নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায়কে রংপুর রেঞ্জে, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এমএ জলিলকে পুলিশ সদর দপ্তরে, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবালকে অধিনায়ক কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদকে সিলেট রেঞ্জে, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনাকে হাইওয়ে পুলিশে, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহাকে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল মান্নান মিয়াকে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিমকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলামকে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এবং হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরীকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাসানুজ্জামানকে খুলনা রেঞ্জে, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান মিয়াকে হাইওয়ে পুলিশে, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমাকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদকে রাজশাহী রেঞ্জে, র‌্যাবের পরিচালক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি দীন মোহাম্মদকে রাজশাহী আরআরএফের কমান্ড্যান্ট, রাজশাহী আরআরএফের কমান্ড্যান্ট মো. আব্দুর রাজ্জাককে বগুড়া ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, বগুড়া ৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সৈয়দ আবু সায়েমকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মেহেদুল করিমকে রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট এবং রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট এসএম আশরাফুজ্জামানকে সিআইডিতে পদায়ন করা হয়েছে।একই প্রজ্ঞাপনে বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাকে র‌্যাবের পরিচালক, বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুনকে বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহা. আহমার উজ্জামানকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হামিদুল আলমকে বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মো. রেজাউল করিমকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cca960ff9, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪," সৈয়দ ইবরাহিমের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, মচির ক্ষেতে পাহারাদার"," দুই রাতের ব্যবধানে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি প্রতীকের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নির্বাচনী ক্যাম্পের পাহারাদার আবু ছালেককে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে পাশের মরিচ ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টায় চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছালিয়া পাড়ার রাস্তার মাথায় হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ৪টায় বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছলিয়া পাড়ার রাস্তার মাথার সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি প্রতিকের নির্বাচনী ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ সময় আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে ফেলা হয়। ক্যাম্পের পাহারাদার আবু ছালেককে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে পাশের মরিচ ক্ষেতে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মরিচ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এর আগে গত রবিবার রাতে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোঁজাখালী এলাকায় হাতঘড়ি প্রতীকের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মক্কী ইকবালকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘গত দুই দিনে আমার দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমার জনপ্রিয়তা দেখে জঘণ্য এই কাজে লিপ্ত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমসহ তার অনুসারীরা। আমি চাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কৈয়ারবিলের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ccb57e1142, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই," কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাম্স পরশ বলেছেন, এবারের নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কোনো আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বহির্বিশ্বের চাপ, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। আমাদের দরকার আংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।যুবলীগের চেয়ারম্যান গতকাল দুপুরে মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিবরিয়া চত্বরে হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুব আলীর সমর্থনে পথসভায় এসব কথা বলেন।উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠানের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন নৌকার প্রার্থী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত জোয়ার্দার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, শেখ মো. মিছির আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুুরী, সেক্রেটারি একেএম মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পৌর যুবলীগ আহ্বায়ক একরামুল আলম লেবু প্রমুখ।এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ পরশ বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো প্রকার সংঘাত, হট্টগোল বরদাশত করা হবে না। এ ক্ষেত্রে জিরো টরারেন্স। নেতাকর্মীদেরকে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cca1ad3a0, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার সামসুদ্দিন খান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামসুদ্দিন খান। আজ মঙ্গলবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।মো. সামসুদ্দিন খান বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কাপাসিয়া আসনে আমি দলীয় লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বর্তমানে আমার শারীরিক, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এই মুহূর্তে আমার যে শারীরিক অবস্থা তাতে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর, গাজীপুর জেলার জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বাদশা আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।এর আগে গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৫ আসনের জাতীয়পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc93d2b6d, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন করতে পারবেন না রুহুল আমিন," নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন নাবলে জানিয়েছে আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ তার আবেদন খারিজ করে দেন।আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও এবিএম আলতাফ হোসেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া ও ইমাম হাছান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।পরে সাংবাদিকদের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া বাতিল আদেশ বহাল রয়েছে।আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, আজকের আদেশের ফলে খন্দকার রুহুল আমিন নির্বাচন করতে পারবেন না।যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নোয়াখালী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন খন্দকার রুহুল আমিন। তাকে প্রতীকও বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে ২০ ডিসেম্বর রিট করেন তিনি। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলে। তাই তার প্রার্থিতা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে গত ২৭ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন। চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc995246e, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করতে পারবেন না রুহুল আমিন," নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রুহুল আমিনের আবেদন খারিজ করে দেন।আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও এবিএম আলতাফ হোসেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া ও ইমাম হাছান।নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নোয়াখালী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন খন্দকার রুহুল আমিন।তাকে প্রতীকও বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান।তাতে সাড়া না পেয়ে ২০ ডিসেম্বর রিট করেন তিনি। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলে। তাই তার প্রার্থিতা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে ২৭ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, ‘হাইকোর্টের দেওয়া বাতিল আদেশ বহাল রয়েছে।’আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, আজকের আদেশের ফলে খন্দকার রুহুল আমিন নির্বাচন করতে পারবেন না।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc8f0442d, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। মোট ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলে আমি মনে করি। সুতারাং নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।’আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে, পাঁচ বছর পর, এটা থেকে আমাদের পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। যত বাধাই আসুক, যত সন্ত্রাসই হোক, আগুন সন্ত্রাস, লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে বিরত করা, কোনটাই এই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।’তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু খারাপ তথ্যও পাচ্ছি। হঠাৎ করেই তারা গুপ্ত হত্যা, চোরা গুপ্তা হামলা করতে পারে। সে জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের নামে কিছু নিরবতা দেখানো হলেও হঠাৎ করেই সরব হয়ে উঠবে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc62dd4716, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপির সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর - সজীব ওয়াজেদ জয়," পরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, বিএনপি নেতা রিজভী বাসে হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে তার নেতৃত্বে৩০ জনেরও কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন।নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে ও তার সঙ্গে কাদের সখ্যতা সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ এটি। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও তাদের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এ সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কিনাÑ প্রশ্ন রাখেন তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc49c972b, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে," রাজধানীর ডেমরার মধ্য হাজীনগর এলাকায় মোয়াজ্জেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজলের ট্রাক মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী হারুনুর রশিদ মুন্নার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।গতকাল রবিবার রাত পৌনে ২টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে আসা ৬ জন প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি মুজিবুর রহমান মিলনের বাসার গেটে হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা মিলনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এসময় ট্রাকের পক্ষ থেকে সরে, নৌকার পক্ষে কাজ না করলে মিলনকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এরপরই তারা ট্রাকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। জানা গেছে, মিলন মোয়াজ্জেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সহসভাপতি ও ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংয়ের তৃতীয় লেনের সভাপতি।ভুক্তভোগী মিলন বলেন, ‘ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার বাবা এ আসনের চারবারের এমপি ছিলেন বলে আমিসহ ঘরে ঘরে তার সমর্থক রয়েছে। তার জনপ্রিয়তা অনেক বলে নিরবে কাজ করছে সবাই। এদের মধ্যে আমরা বেশকিছু লোক তার পক্ষে কাজ করছি। গতকাল গভীর রাতে ৬ জন নৌকার সমর্থক এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। তারা ক্যাম্পের লাইট, চেয়ার, টেবিল ভেঙে ফেলেছে। পরে ডেমরা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে আমার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে যায়।’স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সজল মোল্লা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশের নির্বাচন ভুণ্ডুল করতে নৌকার প্রার্থীর লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ কর্মী সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। যতই অপচেষ্টা করুক, আমার জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।’ এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী হারুনুর রশিদ মুন্নার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতনসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। চিহ্নিত হলেই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc54ffaa7, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, তাহিরপুরে নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন," সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী অস্থায়ী অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নির্বাচনী অস্থায়ী অফিসটির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতলা বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, আমতলা গ্রামে সড়কের পাশে ত্রি-পাল ও কাপড় দিয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অস্থায়ী অফিস তৈরি করা হয়। রবিবার রাত ৯টার দিকে অফিস বন্ধ করে নেতাকর্মীরা চলে যান। পরে রাত ১টার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অফিসে আগুন দেয়। এতে নির্বাচনী অফিসের সামনের কিছু অংশ ও উপরের দিকের কিছু অংশ পুড়ে যায়।আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি এই এলাকায় থাকি না। আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি দেখেন। এই ঘটনা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিপক্ষের কাজ। এ বিষয়ে আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি লিখিতভাবে অভিযোগ করবে।’তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, আগুনের ঘটনা সত্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা কেউ দেখেনি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc4b23944 , আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪," ‘নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে’"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ জাতীয় পার্টি (জাপা) শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবে কি না তা সময়ই বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহ আগে এক দিনে পাঁচটি আসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না, কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। কেউ এমনিতেই বসে যান। পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশ আছে, যারা নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। নির্বাচন করতে না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।’প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকেন না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যায়। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।’জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা কমিটির সদস্যসচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006EA5B, আমাদের সময়, ১৭ জুলাই ২০২৩, ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে সবার দৃষ্টি," জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কূটনীতিকদের চলমান আলোচনার মধ্যে আজ সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ছয়টি দল প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী দুজন। জাতীয় নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগের এ ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস না মিললেও সবার দৃষ্টি রাজধানীর অভিজাত এলাকার এ ভোটে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ব্যালটে ভোট হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, ১ হাজার ৩৩৯ জন কর্মকর্তা প্রস্তুত ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনী দায়িত্বে। প্রত্যেক কেন্দ্রে থাকছেন পাঁচজন পুলিশ, দুজন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৯ সদস্য। ১২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দু-চারটি। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই দাবি করে তিনি জানান, মাঠে থাকবে ১০ প্লাটুন বিজিবিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেক নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন; নারী ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন। ভোটকক্ষ ৬০৫টি। এ উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের একটা বড় অংশ অভিজাত হিসেবে পরিচিত। তবে কড়াইল বস্তিও পড়েছে এ আসনে। এ বস্তিতে প্রায় ২৫ হাজার ভোটার রয়েছে, যাদের কাছে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমও পরিচিত।সরেজমিনে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই উপনির্বাচনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মেলেনি। নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রচারে এগিয়ে। তবে হিরো আলমকে কিছু মানুষ ভোট দিতে পারেন। বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরাও হিরো আলমকে ভোট দেবেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। এদিকে নির্বাচনে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পদের প্রতি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সে লক্ষ্যে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালটবাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। আজ সকাল ৫টায় দেওয়া হবে ব্যালট পেপার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাতীয় পার্টির (জিএম কাদেরের অনুসারী) সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙল), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকতার হোসেন (ছড়ি), তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম (একতারা) ও মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞা (ট্রাক)। মোহাম্মদ এ আরাফাত ভোট দেবেন গুলশান-২ নম্বরের গুলশান মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। ভোটের কারণে গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেট কার ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সংসদীয় আসনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc4497c6d, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, হবিগঞ্জে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী," হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ) জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শংকর পাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। শংকর পাল জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে জানিয়ে জাপার এই প্রার্থী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংঘর্ষ-সংঘাত চলছে, তাতে নিজের ও সমর্থকদের জানমাল রক্ষা করা কঠিন। তাই বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছি। ইতিমধ্যে সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছি লাঙল ছাড়া তাদের পছন্দের যেকোনো প্রার্থীকে যেন ভোট দেয়।’শংকর পাল বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ও তার গড়া জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসি বলে এখনো দল করি। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত পোস্টার ছাপিয়ে ভোট চাওয়ার লোক আমি নই। তাহলে দলের অবস্থান কোথায় থাকল? আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না।’দলের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমার এজেন্টকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর জবাব আজও পাইনি। এবারের নির্বাচনেও যে তা হবে না এর নিশ্চয়তা কোথায়?’ ‘সম্প্রতি হবিগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছি, নির্বাচন করতে প্রার্থী হইনি। সাক্ষী হয়ে দেখতে চাই, আপনারা কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করছেন। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব’, যোগ করেন শংকর পাল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগ, একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc3e2e7f6, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, কক্সবাজারে কল্যাণ পার্টির নির্বাচনী অফিসে আগুন," কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নির্বাচনী প্রচারণার অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এ সময় আগুনে একটি দোকানও পুড়ে গেছে।গতকাল রবিবার গভীর রাতে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোজাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চকরিয়ার ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, রবিবার গভীর রাতে চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোজাখালী সিএনজি স্টেশনের কাছে হাতঘড়ি মার্কার নির্বাচনী প্রচারণার অফিসে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন চকরিয়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই আগুনে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান এবং নির্বাচনী অফিস সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে দোকানের মালামাল ছাড়াও নির্বাচনী অফিসের পোস্টার লিফলেটসহ প্রচুর নির্বাচনী সরঞ্জাম পুড়ে গেছে, বলেন হাতঘড়ি মার্কার এই প্রার্থী। এ ব্যাপারে ইউএনও ফখরুল বলেন, সকালে ঘটনার খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। কে বা কারা আগুন লাগিয়ে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিচারিক হাকিমকে অবহিত এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ জানান, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc376fa86, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই: সিইসি," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে; তবে গণতন্ত্র এখনো নিরবচ্ছিন্ন হয়নি। নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।’সিইসি বলেন, ‘৪২ থেকে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। তাই অনেককে এখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বোচ্চ দায়িত্ব এ কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কখনো একক সিদ্ধান্তে একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।’তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সহিংস পন্থায় যদি নির্বাচনের বিরুদ্ধাচরণ করা হয় বা ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে। তবে সেই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। এখানে প্রতিরোধ আসতে পারে, তারপরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc46e659d, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিস," চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জে) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ২টার পর কানসাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. রাজিন সালেহ বাবুল। পুলিশ বলছে, নির্বাচন বানচালকারী কোনো একটি পক্ষ এ কাজ করে থাকতে পারে।রাজিন সালেহ বাবুল জানান, রাতে অফিস বন্ধ করে নেতাকর্মীরা বাসায় চলে গেলে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে পুরো অফিসটি পুড়ে যায়। অফিসে থাকা মাইকের মেশিন, চেয়ার-টেবিল ও প্রচার সামগ্রী পুড়ে গেছে। ঘটনাটি পুলিশ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তার একাধিক অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ সময় তিনি তার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ট্রাক প্রতীকের অফিসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে যারা নির্বাচন বানচালের জন্য আন্দোলন করছে, তারাই অফিসে আগুন দিয়ে সহিংসতা চালাচ্ছে। তাদের শিগগিরই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc3a6b60e, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নাটোরে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা," নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।আজ সোমবার ভোররাতে পৌরসভা চৌমহনী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, নৌকার সমর্থকরা গতকাল রবিবার রাতে নির্বাচন ক্যাম্পিং শেষে বাড়ি যান। আজ ভোররাতের দিকে দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পে আগুন দেয়। ভোরে মুসুল্লিরা নামাজে যাওয়ার পথে আগুন দেখতে পেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুনে ক্যাম্পে থাকা ১০টি চেয়ারের মধ্যে পাঁচটি সম্পূর্ণ আর বাকি পাঁচটি আংশিক পুড়ে গেছে। এ ছাড়া ক্যাম্পের চারিদিকে থাকা কাপড়ের পর্দাগুলোও পুড়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজনের মারফত শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।নাটোর-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাছের ভুঁইয়া জানান, ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা তিনি জেনেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নথা নেবেন বলে জানান তিনি। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc437d0a9, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বর্জনের পক্ষে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ," নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে জনসাধারণের মাঝে বিজয়নগর এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ এবং পুরানা পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ র‌্যালি করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য মো. অলিউজ্জামান সোহেল, সদস্য ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সদস্যসচিব মাকসুদা রিমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মহিউদ্দিন রুবেল, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি ইব্রাহীম কার্দী, সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন মানিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার মিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহ নাট্যবিষয়ক সম্পাদক মুনতাসীর মামুন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান চাঁদ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মজিবুল হক রিপন, সহসভাপতি মাহমুদ ভূঁইয়া, সহসভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শাহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান আবির, যুগ্ম সম্পাদক আহমদ উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাদিকা তামান্না রেমি, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাকিল মাহমুদ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের মো. টগর প্রধান, মো. রাসেল, হাম্মাদুর রহমান, জুয়েল প্রধান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc08a66e5, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন," শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রাথী খালেদ শওকত আলীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা নির্বাচনী প্রচারণায় ককটেল নিক্ষেপ, চোরাগুপ্তা হামলা ও নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরসহ সহিংসতায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নড়িয়া পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।আজ রবিবার দুপুরে নড়িয়া উপজেলা আওয়মী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা এসে জড়ো হচ্ছে নড়িয়াতে। নির্বাচনকে বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে ককটেল বিষ্ফোরণ ও চোরাগুপ্তা হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তারা। গত ১ সপ্তাহে নৌকার নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেওয়া, মিছিলে ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ, চোরাগুপ্তা হামলাসহ বহু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তিনি বলেন, গতকাল শনিবার রাতে শরীয়তপুর ২ নির্বাচনী এলাকার মূলফৎগঞ্জ বাঁশতলা বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখানে ককটেল হামলায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বোমা হামলায় নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ২৩টি লিখিত অভিযোগ করা হলেও মাত্র ৫টির বিষয়ে শুনানি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন নাশকতা ও সংঘর্ষ ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা জড়িত রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জহির সিকদার, বন ও পরিবেশ উপকমিটির সদস্য সৈয়দ হেমায়েত হোসেন, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক জাফর শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় মূলফৎগঞ্জ বাজার এলাকায় ঈগল প্রতীকের গণসংযোগকালে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে হামলা চালান।এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নড়িয়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc155c94d5, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্য দর কষাকষি করেছে -আইনমন্ত্রী," বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্য দর কষাকষি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিএনপি পেছনের দরজা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। কথায় আছে নাÑ এমন দাম চাইব কেউ আর কিনতে পারবে না। তাই তারা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে আসতে চাইছে না। ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বাধার মুখে ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালেও ভোট হয়েছে এবং দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল, যা আন্দোলনের মুখে দেড় মাসও টিকেনি। ২০১৮ সালে আমার বিরুদ্ধে লন্ডনে বসে পর পর চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এমনিভাবে সারাদেশেই একাধিক মনোনয়ন দিয়ে বাণিজ্য করে তারেক জিয়া শত শত কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। গতকাল রবিবার দুুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যে জাতীয় নির্বাচন হবে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করবে। আপনারা এক বাক্যে বলে দেবেনÑ আমরা নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টাকে মানি না। তাই আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। সারাবিশ্ব দেখতে চায়Ñ আপনারা আমাদের ভালোবাসেন কিনা।আইনমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেবেন না। দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবেন না। দেশকে যাতে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগই সৃষ্টি করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা লাভ করুক। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তাই হবে ইনশাআল্লাহ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbefbf8f5, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, গভীর রাতে মাহির নির্বাচনী অফিসে আগুন," রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামের নির্বাচনী অফিসে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অফিসের সামনের অংশে আগুনের আলামত পাওয়া গেছে। প্রার্থী এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমাকে পরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে হেনস্তার চেষ্টা করা হচ্ছে। ’এর আগে শুক্রবার রাতে নৌকার প্রার্থী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মাহি। সে সময় তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চৌধুরীর লোকজন আমাকে বাধা দিচ্ছে।’ ওইদিন নির্বাচনী মাঠে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন মাহি।উল্লেখ্য, রাজশাহী- (তানোর গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে ভোট করছেন ঢাকাই সিনেমার ‘অগ্নিকন্যা’খ্যাত নায়িকা মাহিয়া মাহি। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। এ ছাড়া এ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিনী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াসহ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc106b8e012, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত অর্ধশতাধিক," নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থানের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা চলছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও একই দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সহিংসতার শিকার হচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আগুন দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনী ক্যাম্পে। রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হচ্ছে নির্বাচনী ক্যাম্প। এ ছাড়া প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম হুমকি। সর্বশেষ আরও ১০ জেলা থেকে সহিংসতারখবর পাওয়া গেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম ও শরীয়তপুর। এসব জেলায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক। জয়পুরহাটে এবার নৌকা সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা ও ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যুরো প্রধান, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-রাজশাহী : রাজশাহী-৪ আসনের বাগমারায় গতকাল বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালায় নৌকার কর্মীরা। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে অ্যাকশনে নামে। ঘটনাস্থল থেকে নৌকার দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাগমারা গনিপুর ইউনিয়নের মাদারীগঞ্জ এলাকার হাসনীপুর বাজারে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক এমপি। এ সময় অতর্কিতভাবে গনিপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ও রহিদুলের নেতৃত্বে নৌকার একদল কর্মী নৌকার সেøাগান দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা এনামুলের প্রচারবহর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।এদিকে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামের নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অফিসের সামনের অংশে আগুনের আলামত পাওয়া গেছে। প্রার্থী এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, আমাকে পরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে হেনস্তার চেষ্টা করা হচ্ছে।নোয়াখালী : নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুকের (ডাব প্রতীক) নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করে ছাত্রলীগ। গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের দশগরিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ চালাতে গিয়ে এই হামলার শিকার হন ডাব প্রতীকের প্রার্থীসহ উপস্থিত সমর্থকরা। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্থানীয় পরকোট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব আদনান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাফিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) : স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবীবুর রহমান পবনের ঈগল সমর্থনে গণসংযোগকালে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ প্রায় ১০ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ বাজারের উত্তরে সেলিম মাস্টার বাড়ির সামনে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- চেয়ারম্যান আলহাজ দেলোয়ার হোসেন দেলু, সিএনজিচালক তাজুল ইসলাম, ঈগলের কর্মী রাসেল হোসেন, দুলাল খলিফা, জুয়েল হোসেন, হানিফ মিয়া, রুবেল হোসেন, আব্দুল মোতালেব ও বিল্লাল হোসেন ফজলু। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন দেলু রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন মনিটরিং সেলে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।রাজবাড়ী : রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি ও কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে ওই প্রার্থী রাজবাড়ী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ করেন। নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, নির্বাচনে প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারা করছে। প্রতিনিয়ত কর্মীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রচারে বাধা দিচ্ছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া গ্রামের প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের অদূরে ১০০ গজের মধ্যে মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।কুষ্টিয়া : সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বড় আইলচারা বাক্সব্রিজ মোড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. পারভেজ আনোয়ার তনুর ঈগল প্রতীকের অফিস ভেঙে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটানো হয়। ঈগলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর ওই নির্বাচনী অফিসে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ছিলেন। রাতে চলে যাওয়ার পরেই প্রতিপক্ষের কর্মীরা অফিসের ব্যানার, পোস্টারসহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। পরে অফিস ভেঙে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।নেত্রকোনা : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর ট্রাক প্রতীকের মিছিলে হামলায় আরাফাত নামে এক শিশু আহত হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নে মিয়ারগাতী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য ট্রাক সমর্থক নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিল এমপির সমর্থকদের দায়ী করা হয়েছে। আহত আরাফাত বলাইশিমুল ইউনিয়নের মো. হলুদ মিয়ার ছেলে। কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী পিন্টু কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদের (ট্রাক) নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর, আগুন, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার ধলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানহ প্রায় ৯ জন আহত হন। আহত কয়েকজনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার আহমদ সুজন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামি দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে ক্যাম্পে হামলা ও আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক) পক্ষে গতকাল দুপুরে ভালুকা ওয়াহেদ টাওয়ারের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ, প্রার্থী ওয়াহেদ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রাম-১ আসনের নাগেশ^রীতে জাকের পার্টির পথসভায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের হাসনাবাদ আদর্শ জনতা বিদ্যাবিতান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী।রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলামের নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ না করলে ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও হুমকি-ধমকি প্রদান করে তারা।শেরপুর : শেরপুর-১ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু (ট্রাক প্রতীক) অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক তার নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন। তিনি প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার কর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তার কর্মীদের হামলায় আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া আমার কর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও নির্বাচনী কেন্দ্র করতে বাধা দিচ্ছেন।জয়পুরহাট : জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়ায় নৌকা মার্কার বৈঠকে কাঁচি মার্কার সমর্থক কাউন্সিলর জাকির মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদ সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জিরো পয়েন্টের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজা চৌধুরী প্রমুখ।শরীয়তপুর : শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রাথী খালেদ শওকত আলীর (ঈগল প্রতীক) মদদে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা নির্বাচনী প্রচারে ককটেল নিক্ষেপ, চোরাগোপ্তা হামলা ও নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। গতকাল দুপুরে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) ও চট্টগ্রাম-১৬- (বাঁশখালী) আসনে পৃথকভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙার অভিযোগ ওঠেছে। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ বিষু মিয়ার হাট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের নির্বাচনী কার্যালয় গতকাল ভোরে ভেঙে দেওয়া হয়। আর বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুইছড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা চৌধুরী বাজার এলাকায় ঈগল প্রতীকের কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ও অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করা হয়। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc106b2383, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে একটি প্রাণও যেন না যায়," নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে একটিও যাতে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কেন্দ্র করে একটি প্রাণও যেন না যায়। কারও সম্মানহানি যেন না হয়। প্রত্যেক নাগরিক সম্মানিত, প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সম্মানিত। এ দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সম্মানিত। কেউ যেন কারও সম্মানে আঘাত না করে।গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মো. আলমগীর।নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। ভোটারদের কোনো ভয় নেই। ভোট সুষ্ঠু করার জন্য যত রকম বাহিনী দরকার সে বাহিনী নামানো হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নামানো হচ্ছে।এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুজাফর রিপনের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc0a8d5c7, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪," আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে সবার ঘুম হারাম কেন, প্রশ্ন লিটনের"," আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে ভারত, চীন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়াসহ অনেক উন্নত দেশ তাকিয়ে আছে। আমাদের দেশে নির্বাচন হবে, এতে সবার ঘুম হারাম কেন?’আজ রবিবার নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলককে বিজয়ী করার লক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দৌঁড়াদৌঁড়ি দেখেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের মানুষের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে না পেরে বিদেশি পরাশক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বন্ধ করতে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।’জনসভায় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cc0407f55, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে আসতে দর-কষাকষি করেছে বিএনপি: আইনমন্ত্রী," আইনমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনে আসার জন্য বিএনপি দর-কষাকষি করেছে। কথায় আছে না ‘‘এমন দাম চাইব কেউ আর কিনতে পারবে না।’’ তারা পেছনের দরজা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। তাই অজুহাত দেখিয়ে তারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না।’আজ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, ‘২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বাধার মুখে ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালেও ভোট হয়েছে এবং দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল, যা আন্দোলনের মুখে দেড় মাসও টিকেনি। ২০১৮ সালে আমার বিরুদ্ধে লন্ডনে বসে পরপর চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এমনিভাবে সারাদেশেই একাধিক মনোনয়ন দিয়ে বাণিজ্য করে তারেক জিয়া শতশত কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করবে। আপনারা এক বাক্যে বলে দেবেন ‘‘আমরা নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টাকে মানি না।’’ তাই আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। সারাবিশ্ব দেখতে চায় আপনারা আমাদের ভালবাসেন কি না।’জনগণের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেবেন না। দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবেন না। দেশকে যাতে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগই সৃষ্টি করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা লাভ করুক। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি উন্নত দেশ হয় তাহলে আমাদের এবং আপনাদেরসহ সকলের মর্যাদা বাড়বে। আমাদের আর কেউ বলতে পারবে না ‘‘আমরা মিসকিন’’। আমাদের এখন আর কেউ বলে না ‘‘তলাবিহীন ঝুড়ি’’। আপনারা আমাকে ভালবাসেন এবং আমিও আপনাদের ভালবাসি, এটা বলার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাদের সেবক, ছোটদের অভিভাবক। আপনারা যে আমাকে ভালবাসেন এই গণসমাবেশ আপনাদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে। তাই আপনারা সকলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’গোপিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়া বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, গোপিনাথপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনমন্ত্রী পৌর এলাকার তালতলা গ্রামে ও গোপিনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী পথসভায় যোগদান করেন এবং কেন্দ্রে গিয়ে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbfb1cd9, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪," নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ঢাবি ছাত্র ‘মানসিক রোগী’, দাবি পরিবারের"," আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে ‘মানসিক রোগী’ উল্লেখ করে তাকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা।আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আকাশ বিশ্বাসের মামা ‘তার বাবা অসুস্থ’ বলে তাকে বাসায় নিয়ে যান। আকাশ বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি জগন্নাথ হলের অনাবাসিক ছাত্র।এ বিষয়ে আকাশ বিশ্বাসের মামা ডা. তন্ময়বলেন, ‘আকাশ বেশ কিছুদিন থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। আজকে আমি হঠাৎ করেই জানতে পারি আকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে চাইলে সে আসতে না চাইলে ‘তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে’ বলে তাকে বাসায় নেওয়ার ব্যবস্থা করি।’এ বিষয়ে জগন্নাথ হল প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘ছেলেটা নন রেসিডেন্ট। সে হলেও না থেকে তার ডাক্তার মামার সঙ্গে ঢাকায় একটি বাসা নিয়ে থাকে। আমি যখন জানতে পারি ছেলেটা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছে তখন আমি তার বাবার নম্বর জোগাড় করে ফোন দিলে তিনি বলেন, তার ছেলে কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। পরে রাত ৯টার দিকে তার মামা এসে তাকে বাসায় নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে।’উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আজ বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ বিশ্বাস। এসময় তিনি বাংলাদেশের ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি দলমত নির্বিশেষে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পক্ষে একতাবদ্ধ হয়ে ৭ জানুয়ারির ‘প্রহসনে’র নির্বাচনের বিরুদ্ধে সকলকে গণঅবস্থানের আহ্বান জানান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbc6b8e5b4, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে নাশকতা ঠেকাতে পেশাজীবীদের আলোচনাসভা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য করতে এবং গণতন্ত্র ও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে ‘নির্বাচন-গণতন্ত্র-নাশকতা’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও র‌্যালির আয়োজন করে। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভা শেষে প্রতিবাদী র‌্যালি বের করেন তারা।আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে এখন ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হচ্ছেÑ জনগণকে কীভাবে নির্বাচন থেকে বিমুখ করে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। আরেকটি অংশ হচ্ছেÑ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যায়। সেই চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেনÑ ট্রেন-বাসে তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এখানে সব পেশার মানুষ উপস্থিত আছেন। সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে।সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, সরকারের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সহিংসতা ও নাশকতা করার অধিকার কারো নেই। এধরনের কার্যক্রমের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ ধরনের রাষ্ট্র পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আমাদের পেশাজীবী দায়িত্ব হলোÑ মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার সচেতনতা তৈরি করা এবং দেশজুড়ে সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপি কিন্তু বসে নেই। আপনারা যদি ভাবেন বিএনপি লিফলেট কর্মসূচির মধ্যে আছে। এটি ভাবা ঠিক হবে না। তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো থেকে আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক ম. হামিদ বলেন, যখন মুক্তিযোদ্ধার শক্তি ক্ষমতায় থাকে। তখনই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতাগুলো ঘটে। আলোচনাসভায় ইঞ্জি. মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গোলাম কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যক্ষ একেএম আসাদুল হক, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. হাবিবুর রহমান, ডা. রোকেয়া সুলতানা ও ইঞ্জি. নূরুল হুদা প্রমুখ।আলোচনাসভা শেষে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে নির্বাচনকেন্দ্রিক অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী র‌্যালি বের করেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbe95b2cb, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ‌‘কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেটে নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে না’," সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেটে নির্বাচন ক্রেডিবল (বিশ্বাসযোগ্য) হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকে বিশ্বাস করাতে পারব না, আমার সার্টিফিকেট দিয়ে বা আমাদের সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেট দিয়ে। নির্বাচন ক্রেডিবল হবে যদি দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ফুটিয়ে তুলতে পারি।’আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম দফার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নেন।সিইসি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থেকেও যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে সেটি এবার প্রমাণ করতে হবে। সেজন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করতে হবে।’রাজনীতিতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা ভোটাররা যদি দেখেন কেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে, তারা আর ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তাই সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।’নির্বাচনে সহায়তা করতে সরকার সাংবিধানিকভাবে বাধ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সহায়তা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য পরিবেশ অনুকূলে রাখতে হবে।’বিদেশিরা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়, এটা অন্যায় নয় বলেও অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbf78d2d8, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন জাপার প্রার্থী নিয়াজউদ্দিন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন। এলাকায় এলাকায় লাগানো হয়েছিলেন পোস্টার। তবে প্রথম থেকেই প্রচারে যাননি তিনি।আজ রবিবার দুপুরে এম এম নিয়াজউদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আর নির্বাচনে থাকছেন না। খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এম এম নিয়াজউদ্দিন বলেন, ‘গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টির হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। এবারও আমাকে গাজীপুরের দুটি আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে এ মুহূর্তে মনে হয়েছে আমার সরে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কারণও রয়েছে, তাই আমি সরে যাচ্ছি। নির্বাচনের পরিবেশও নেই, সেটাও একটি কারণ।’উল্লেখ্য, এম এম নিয়াজউদ্দিন ২০১৫ সালে স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে অবসরে যান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbf4d1d84, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে ১ শতাংশ ভোটও পড়বে না : মিনু," আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ১ শতাংশও ভোট পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। বলেছেন, ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোয় চতুষ্পদ জন্তু ছাড়া কাউকে পাওয়া যাবে না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীতে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র বিলির সময় সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন মিনু।এর আগে মহানগরীর মালোপাড়া এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ সময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে প্রচারপত্র বিলি করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘এই ডামি নির্বাচনে জনগণ অংশ নেবে না। বিএনপি যে নির্বাচনে নেই, বাংলাদেশের মানুষও সে নির্বাচনে নেই।এরই মধ্যে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি অন্যান্য ব্যাংকে দেওয়া হয়েছে। এর মানে ইতোমধ্যেই জনগণ তাদের টাকা-পয়সা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে অসহযোগিতা করছেন। এর কারণেই ব্যাংকগুলো এখন টাকাশূন্য হয়ে পড়েছে।’মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মানুষ থাকার জায়গা নাই। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগার ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পানি নেই। খাবার নেই। টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই। মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। অবিলম্বে তিনি গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।কর্মসূচিতে বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদাসহ বিএনপি ও সহযোগী সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbebf473a, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা’," সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব বিষয়; বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশ হয়তোবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।’আজ রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আনিছুর রহমান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ছয় দিন পর। নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন, আচরণবিধি প্রতিপালনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।’এবারই প্রথম প্রতিটা আসনভিত্তিক সার্বক্ষণিক জুডিশিয়াল অফিসার দিয়ে ইলেকট্ররাল ইনকোয়ারি করা হয়েছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘উভয়ই মাঠে খুব ভালো কাজ করেছেন। এক মাসেরও বেশি সময় পুরো মাঠ চষে বেড়িয়েছি। সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি আচরণবিধি প্রতিপালনে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। একই সঙ্গে যেই অভিযোগগুলো তাদের কাছে এসেছে, তারা যেটা সমাধান করতে পারেনি বা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সেগুলো ইলেকটোরাপ ইনকোয়ারি কমিটিকে দিয়েছে, তারা কারও কারও হাজিরা চেয়েছে। কাউকে শোকজ করেছে, লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে এইভাবে তারা নিষ্পত্তি করেছে। কিছু আমাদের কাছে এসেছে, আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসির চেষ্টার শেষ নেই জানিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা খুব কম। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন অন্যবারের চেয়েও কম। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দফার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৩১ জন ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbc6b8da63, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের নামে প্রহসনের আয়োজন চলছে -নজরুল ইসলাম খান," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন চলছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। সিন্ডিকেট করে বাজার লুট, ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুটের যে মহোৎসব চালিয়েছে, সেই লোভেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। গতকাল শনিবার এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন : বর্জন, অংশগ্রহণ ও ডামি ভোটাভুটি’ শীর্ষক আলোচনাসভাটির আয়োজন করে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আ ক ম ওয়ারেসুল করিম।অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা যে হলফনামা দিয়েছে তা আগে দেখলে মানুষ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো পার্টি করত না। এভাবে মানুষ টাকার মালিক হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নির্বাচন খেলার আয়োজন করা হয়েছে। মানুষ ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে চায়, খেলা দেখতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, গণফোরাম সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মানবাধিকার সংগঠক ড. শহীদুল আলম, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbfacc2612, আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, প্রার্থী জানেন না নির্বাচনী এলাকার সীমানা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফেনী-২ (সদর) আসনের একজন প্রার্থী জানেন না তার নির্বাচনী এলাকার সীমানা। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম। আসনটি শুধু ফেনী সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। অথচ নুরুল ইসলাম প্রচার সামগ্রীতে লিখেছেন ফেনী সদর ও সোনাগাজীর একাংশের প্রার্থী। এ কারণে তাকে জরিমানা করা হয়েছে।শুক্রবার বিকালে ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে সবার নজরে আসে মোমবাতি প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার। ভুল নির্বাচনী এলাকা উল্লেখের বিষয় নজরে এলে জনমনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় মাওলানা নুরুল ইসলামকে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং একই সঙ্গে এসব পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রত্যাহারের আদেশ দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজ্জা।মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, এক সময়ে ফেনী-২ আসনের সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার একটি অংশ ছিল। সেই আলোকে প্রচারসামগ্রী তৈরি ও ব্যবহার করা আমার ভুল হয়েছে।ইতোমধ্যে মোমবাতি প্রতীকের এক হাজার পোস্টার, ৩০০ ফেস্টুন ও ১",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006E9D1, আমাদের সময়," ১৬ জুলাই ২০২৩,", নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পেয়ে যা বললেন নুর," গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে নুর বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আমরা নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ পেয়েছি। সিইসির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তার কথাবার্তায় একটু অসহায়ত্বের ছাপ ফুটে উঠেছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভালো কিছু করার চিন্তা-ভাবনা করলেও এই পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য করতে পারছেন না। তার হাত-পা বাঁধা। আমরা তার কথাবার্তা ও কার্যক্রমে বুঝতে পেরেছি।’নুর বলেন, ‘নিবন্ধন দেয়নি ভালো, আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নেব এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘দলগুলোর নিবন্ধনে যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক একজন উপসচিব ও অতিরিক্ত জেলা জজ। যিনি আইনকানুন সম্পর্কে ভালো বোঝেন। তার সঙ্গে কথা বলে দেখুন তিনি কী তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের কপিও আমাদের হাতে রয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিখে দিয়েছেন, গণঅধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা নিবন্ধনের যোগ্য, এটা তদন্ত কমিটি লিখেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার ও এজেন্সির পরামর্শে আমাদের নিবন্ধন দেয়নি।’আরও পড়ুন: নিবন্ধন পাচ্ছে না নুরের গণঅধিকার পরিষদ, আরও বাদ পড়ল যারাতিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক বিষয়ের আপডেট চিঠি নিয়ে এখানে সশরীরে হাজির হয়েছি। এর আগে সাধারণত আমরা চিঠি নিয়ে সশরীরে এখানে আসিনি। আমরা মনে করেছি যে, নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যেহেতু চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের (ইসির) যে কর্মকর্তারা আছেন, তারা বিভিন্ন এজেন্সির দ্বারা প্রভাবিত। ডিজিএফআই, এনএসআই নিবন্ধন কার্যক্রমে বাধাগ্রস্তের পরিবেশ তৈরি করেছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম লিখিতভাবে ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে উপস্থাপন করেছি।’তিনি বলেন, ‘আজকে যারা দালালি করেছে, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আপনাদের অধীনে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হবে, নতুন সরকার গঠন হবে, দালালির পুরস্কার আপনারা পাবেন। জনগণ আপনাদের রাস্তাঘাটে দেখলে থুথু মারবে।’আদালতে যাবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই সরকারের নিয়ন্ত্রিত ক্যাঙ্গারু কোর্টে মানুষ ন্যায় বিচার পায় না। ওখানে মানুষ অবিচারের শিকার হয়। আমরা রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন করে এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করব এবং দলের নিবন্ধন নেব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbea604110, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী সংঘাতে বাড়তি নজর পটিয়া উপজেলায়," দক্ষিণ চট্টগ্রামের শান্ত জনপদ বলে পরিচিত পটিয়া সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘর্ষের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন দফা সংঘর্ষে জাতীয় সংসদের হুইপের গাড়িসহ আটটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। মাথা ফেটেছে হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মোহাব্বতের। ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (ডিএসবি) মো. আরিফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ঘটনা ঘটার খবর শুনে আমরা গিয়েছি। সিনিয়র স্যারদেরও নিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশ ছাড়াও একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় এসেছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হুইপ প্রচারে যাচ্ছিলেন। পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার বহরের কিছু গাড়ির গ্লাস ভাঙা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সম্ভবত হুইপের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।এদিকে গতকাল আরও চার জেলা থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর), লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা) ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে সহিংসতা ঘটে। এ ছাড়া জয়পুরহাট-১ ( সদর ও পাঁচবিবি) আসনে সহিংসতার প্রতিবাদে গতকাল সভা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা।হুইপ শামসুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন, তিনি সকালে শান্তিরহাট এবং বিকেলে মোহাম্মদপুর এলাকায় হামলার শিকার হন। শান্তিরহাটে তাকে বহনকারী গাড়িটির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিকালে মোহাম্মদপুর এলাকায় ছয়টি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। হামলায় মাথায় আঘাত পান শামসুল হক চৌধুরীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মোহাব্বত। হামলা ও গুলিবর্ষণে অন্তত ১০ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কথা বলতে রাজি হননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। পেয়েছেন পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। শামসুল হক চৌধুরী ঈগল মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ শামসুল হক চৌধুরী ও মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী দুই মেরুতে অবস্থান নেন। মারামারি হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা।পুলিশ প্রশাসন শামসুল হক চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে- এমন অভিযোগ এনে পটিয়া থানার ওসিকে বদল করিয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম। পরে পটিয়া থানায় যোগ দিতে আসা পরপর দুই ওসির বিরুদ্ধেই তিনি অভিযোগ আনেন যোগ দেওয়ার আগেই। ফলে তারাও ফিরে যান। গতকাল শনিবার সর্বশেষ একজন ওসি পটিয়া থানায় যোগ দেওয়ার কথা, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেননি।মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ হয়ে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এর বাইরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর বাবরের নেতৃত্বে শহর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী নিয়মিতই পটিয়ায় নৌকার পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মোতাহেরের পক্ষে প্রচারের জন্য তিনি গঠন করেছেন ছাত্রলীগের সমন্বয় কমিটি, যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা আছেন। নৌকার প্রার্থীমোতাহেরুল ইসলাম পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করলেও সেই পথে হাঁটেননি কৌশলী রাজনীতিবিদ শামসুল হক চৌধুরী। তিনি প্রচারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। গত ১৫ বছরে পটিয়ায় যে উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, ভোটারা কেন্দ্রে এলে তার সুফল শামসুল হক চৌধুরী পাবেন বলে তার অনুসারীরা মনে করেন।শামসুল হক চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোতাহেরুল ইলাম চৌধুরী নির্বাচন করতে চান। তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনেছেন পটিয়ায়। আমি চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, শামসুল হক চৌধুরী দীর্ঘসময় এমপি থাকাকালে নিজের মতো করে প্রশাসন তৈরি করেছেন। তাই সেখানে হাত দিলেই তিনি আপত্তি দিচ্ছেন।এর মধ্যে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এয়াকুবদন্ডী এলাকায় গণসংযোগের একপর্যায়ে ভোটারদের হাতে নগদ টাকা তুলে দিতে দেখা যায় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে। টাকা বিতরণের সময় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের এবারে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ফুটবলার সত্যজিত দাশ রুপো, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মর্তুজা কামাল মুন্সি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল আজম টিটু।নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসন : আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরণ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের (ট্রাক) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষ ঘটে। এতে এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার নাজিবুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন এহসানুল গনি স্বজনসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় এটিএন বাংলারসহ কয়েকটি গাড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিব জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসন : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী মাওলানা আব্দুল মতিনের (নোঙর) নির্বাচনী অফিসে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে অফিসটি পুড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মিন্টু রহমান জানান, নির্বাচনী অফিসে খড়ের গাদায় প্রথমে আগুন লাগে। সে আগুন থেকেই পুরো নির্বাচনী অফিস পুড়েছে। তবে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। নোঙর প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ দিলে তদন্তের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা) আসন : হাতীবান্ধা উপজেলায় নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমান প্রধানের সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের হাটখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) আতাউর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়ি। তবে তার নির্বাচনী সমন্বয়ক সরওয়ার হায়াত খান বলেন, আমরা নৌকায় আগুন দেইনি। তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাদের দোষারোপ করছেন।পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) : স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর (ঈগল) নির্বাচনী সভা শেষে ভূরিভোজের অভিযোগ উঠেছে কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে প্রশাসন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ভূরিভোজ পণ্ড করে দেয়। গতকাল ভোরে ঈগলের সমর্থকরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ করেন নৌকার সমর্থকরা।জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসন : স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লার (কাঁচি মার্কা) সমর্থকরা নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তারা গতকাল প্রতিবাদ সভা করে। শনিবার বিকালে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা বক্তব্য রাখেন।-প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান হামিদ উল্লাহ, নোয়াখালী প্রতিনিধি সাইফুল্যাহ কামরুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ডাবলু কুমার ঘোষ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিজু, জয়পুরহাট প্রতিনিধি শাহিদুল ইসলাম সবুজ ও মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ইশরাত জাহান মমতাজ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D115, আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, বরিশাল সিটি নির্বাচন কেন্দ্রের ভেতরেই দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের হাতাহাতি," বরিশালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোড মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরেই ভোট দিতে আসা লাটিম মার্কার প্রার্থী মু. শাহরিয়ার সাচিব (রাজিব) এবং টিফিন বক্স মার্কার প্রার্থী শেখ সাঈদ আহমেদের (মান্না) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।টিফিন বক্স মার্কার প্রার্থী শেখ সাঈদ আহমেদের (মান্না) সমর্থক শাহিন হোসেন বলেন, লাটিম মার্কার প্রার্থী ও তার স্ত্রী ভোটারদের জোর করে তাদের পক্ষে ভোট দেওয়াচ্ছে। আমাদের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা আমাদের সন্ত্রাসী বলছে। আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকিও দিচ্ছে।আরও পড়ুন: বরিশালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর গাড়িতে হামলালাটিম মার্কার প্রার্থী মু. শাহরিয়ার সাচিবের (রাজিব) স্ত্রী মৌসুমী কবির মৌ বলেন, ‘টিফিন বক্সের প্রার্থী মাঠে নেই। সে ভোটারদের টাকার প্রলোভন দিয়ে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসছে। এর বাধা দেওয়ায় আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমাদের লাইনেই দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বলছে বের করে দেবে ‘লাটিম মার্কার আরেক সমর্থক বলেন, ‘সবাই জানে শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না একাধিক, মার্ডার ও অস্ত্র মামলার আসামী।’এপিবিএন কর্মকর্তা দুলাল আহমেদ বলেন, ‘এখানে ঝামেলা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমরা এসেছি। দুই কাউন্সিলরের লোকজনকে কেন্দ্রের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D122, আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, পৌরসভা নির্বাচন কক্সবাজারের সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ," কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার ইভিএমে ১২টি ওয়ার্ডে ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এসব কেন্দ্রের সবকটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের টহল রাখা হয়েছে।জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে ৪৩টি কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশসহ পুরুষ ও মহিলা আনসার বাহিনীর ১৩ সদস্য, ১২টি ওয়ার্ডে পুলিশের ১২টি টহল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ৭৯০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১২টি পেট্রোল টিম এবং ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪৩টি কেন্দ্রের প্রতিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’আরও পড়ুন: কক্সবাজারপৌর নির্বাচন: মেয়রসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলনির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও একই দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) নারকেল গাছ প্রতীকে মাসেদুল হক রাশেদ। এছাড়া তিনজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তারা হলেন- জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), জোছনা হক (মোবাইল ফোন) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)।কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটারসংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D15A, আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, সিলেট-রাজশাহী সিটি নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন," আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোট বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আজ সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীতে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন এ ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘নির্বাচনে মারাত্মক অনিয়মের কারণেই আমরা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। যখন প্রসাশন দলীয়করণ হয় তখন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই আশা করা যায় না। আমরা এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।’চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাজশাহী ও সিলেটে আমাদের যে প্রার্থী রয়েছে তাদের প্রার্থিতাও আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। খুলনার ফলাফলও আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006CFBE, আমাদের সময়, ১০ জুন ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে না এলে কর্মীরাই গণধোলাই দেবে: কামরুল," আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন বিএনপি এবার নির্বাচনে না এলে কর্মীরাই গণধোলাই দেবে। যারা গণতান্ত্রিক দল করে, তাদের গণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে নির্বাচনে আসতে হবে। তা না হলে কর্মীরাই তাদেরকে মারধর করবে।আজ শনিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রুহিতপুর ইউনিয়ন শাখার আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হয়ে যাবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তাতে নির্বাচন থেমে থাকেনি, জনগণ ঠিকই সাড়া দিয়েছে।আরও পড়ুন: কেউ ভোট দিতে না পারলে চিৎকার দিতে বললেন সিইসিকামরুল ইসলাম বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রধানমন্ত্রী শক্তহাতে মোকাবিলা করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বর্তমানে বিশ্বের অবস্থা খারাপ। তবে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো রয়েছে।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিউল খান বারকু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শিলা ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D076, আমাদের সময়, ১১ জুন ২০২৩, কক্সবাজার পৌর নির্বাচন রাতে ভোটারদের মাঝে টাকা বিলি করার সময় ধরা," কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে রাতে টাকা বিতরণ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন মো. ইসমাইল হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।জানা গেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদের পক্ষে টাকা বিতরণ করছিলেন সাজা পাওয়া ইসমাইল।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়া এলাকার স্টেডিয়ামের কাছে অভিযান চালায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদের পক্ষে টাকা বিতরণের সময় মো. ইসমাইল হোসেন হাতেনাতে আটক করা হয়। ইসমাইল বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর কর্মী।পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জনসম্মুখে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ১৭ (গ) ধারায় ইসমাইল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় তার কাছে থাকা ২ হাজার ২৬০ টাকা ও টাকা বিতরণের তালিকা জব্দ করা হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পৌর নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আটক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbb8c91ca, আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য করতে পারেনি বলে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি’," আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যখন বাণিজ্য করার দরকার পড়ে, তখন তারা (বিএনপি) নির্বাচন করতে আসে। এখন তাদের এইসব মানুষ ধরে ফেলেছে। যখন বাণিজ্য করতে পারে না, তখন বিএনপি বলে- তারা নির্বাচনে আসবে না।’আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, ‘২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাবেন আমাকে আপনারা ভালোবাসেন।’তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে গণতন্ত্র চলছিল বলেই বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। আর তারা এসব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে ৩ বছরের শিশুকে মেরেছে।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাই। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন প্রত্যেক ইউনিয়নে মিটিং করছি। এর কারণ হল- আমি আখাউড়া-কসবাবাসীকে ভালোবাসি। আমি এও জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। নির্বাচন মুখ্য নয়, এই ভালোবাসার টানেই আমরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে যাই। ১০ বছর আপনাদের সেবা করে উন্নয়ন করেছি। সন্তানের দাবিতে ভোট দাবি করছি। ভালোবাসার দাবিতে আপনাদের ভোট চাই।’ মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নাজিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb609916b, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদেরও আগ্রহ নেই: রিজভী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহু এলাকার প্রার্থীদের মধ্যেও আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ভোটবর্জন এবং ‘‘একমাত্র ভোটার’’ শেখ হাসিনার ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটা জানার পর প্রার্থী নিজেও প্রচার থামিয়ে দিয়েছে। প্রচার চালানোর জন্য দলীয় সমর্থকদের যে হাতখরচ, প্রার্থী তাও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের জন্য যে নির্বাচনী ক্যাম্প খোলা হয়েছিল, এখন তা জনমানবহীন।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট গণমাধ্যম নানা অ্যাঙ্গেলে প্রচার চালিয়ে নির্বাচন জমানোর চেষ্টা করেছিল। প্রার্থী ও তাদের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ না থাকায় গণমাধ্যমের আগ্রহেও ভাটা পড়েছে। কিন্তু নানা চাপের কারণে তারাও প্রচার চালাতে বাধ্য হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নিজের পোলিং এজেন্ট দেওয়া নিয়েও প্রার্থীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। কেউ কেউ পোলিং এজেন্ট সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তবে যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবেই হবে।’দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ডামি নির্বাচন ঘিরে দেশে এক অকল্পনীয় ভয়ঙ্কর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। বন্দুক-পিস্তল, রামদা, রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করছে তারা। নৌকা-ডামি, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র প্রিজাইডিং অফিসার সব আওয়ামীময়-একাকার হয়ে গেছে।’তিনি বলেন, ‘ছলে-বলে-কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া তারা। প্রতিটি জনপদের মানুষ আমি-ডামি প্রার্থী আর তাদের সমর্থক এবং প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য হুমকি-ধমকিতে সন্ত্রস্ত। ভোট কেন্দ্রে না গেলে হত্যা, গ্রাম ছাড়া করার হুঙ্কার দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। ভোট না দিলে মসজিদ-কবরস্থান বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’রিজভী বলেন, ‘২০১১ সালের গুলশান থানার একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশি রায়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমসহ ৮ জন নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছে। আমি এই মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’বিএনপির এ নেতা জানান, প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৯৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cbb611dce , আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বর্জনের দাবিতে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন বর্জন ও নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ বিশ্বাস।আজ শনিবার বিকেল ৪টায় চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আকাশ বিশ্বাস। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।চারটি দাবি হলো- ক. একদলীয় সরকারের অধীনে ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে ও সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খ. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। গ. গুম, খুন, নির্যাতনের বিচার করতে হবে ও শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। সকল নাগরিকের নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ. রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।আকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ -এর নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আবারও একই রকম একটি নির্বাচন সামনে হতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনর্বার ভূলুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এই ডামি নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের কোনো আস্থা নেই। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। তাই আমি এই নির্বাচনকে বর্জন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।’বাংলাদেশের স্বাধীনতার বায়ান্নো বছর পার হলেও আমাদের রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বলে দাবি করে আকাশ বলেন, সংবিধানেই এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ও এক দলীয় শাসনকাঠামোর বীজ বপন করা আছে। তাই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের নাগরিকগণ অব্যাহতভাবে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা গেস্টরুমে নির্যাতিত হচ্ছে, শ্রমিকদের মজুরির আন্দোলনে গুলি চালানো হচ্ছে; সর্বোপরি বাংলাদেশে একটা মানবাধিকার বিপর্যয় চলছে। এই সকল ঘটনার বিচার করতে হবে, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে এবং নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই যেখানে নাগরিকরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে। তাই রাজনৈতিক পরিসর সংকোচনের চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হিস্যা ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনসহ চার দফা দাবিতে রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থানে বসেছি।দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা আসুন দলমত নির্বিশেষে আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পক্ষে একতাবদ্ধ হই। ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমি সকলকে গণঅবস্থানের আহ্বান জানাচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb6d7f7bb11, আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মাঝেও আগ্রহ নেই - বিএনপি," আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বহু এলাকায় প্রার্থীদের মাঝেও আগ্রহ নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটা জানার পর প্রার্থী নিজেও প্রচার থামিয়ে দিয়েছেন। প্রচার চালানোর জন্য দলীয় সমর্থকদের যে হাতখরচ প্রার্থী তাও বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রচারের জন্য যে নির্বাচনী ক্যাম্প খোলা হয়েছিল, এখন তা জনমানবহীন।আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেওয়া নিয়ে প্রার্থীদের কোনো আগ্রহ নেই বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কেউ কেউ পোলিং এজেন্ট সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তবে যত যাই করুক কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লালকার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে।রিজভী বলেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে হত্যা, গ্রামছাড়া করার হুংকার দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। ভোট না দিলে মসজিদ-কবরস্থান বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২৯৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb8f0aeba, আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার অফিসে আগুন," চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে নোঙর প্রতীকের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রচার অফিসটি পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার শংকরবাটি ঈদগাহের পাশে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল মতিনের নির্বাচনী প্রচার অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো প্যান্ডেল ও ভেতরে থাকা প্রচার সামগ্রী ও অন্যান্য আসবাবপত্র। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।বিএনএম প্রার্থী আব্দুল মতিন অভিযোগ করেন, ‘আমার প্রতিপক্ষরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে মালামালসহ অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ছাড়া মহারাজপুরে আমার প্রচারযানের চালককে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান রাজন ও তার দলবল। রামকৃষ্টপুর এলাকায় আমার প্রচারযান ভাঙচুর করে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’‘এ ছাড়া পৌর এলাকার অন্তত ২৫/৩০টি স্থানে পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গায় আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি কর্মীদের এলাকাছাড়া করা হয়েছে। আমার কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ প্রতিনিয়ত আমার প্রচার কাজে প্রকাশ্যে বাধা প্রদান করা হচ্ছে,’ যোগ করেন আব্দুল মতিন। এ সময় এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী অফিসে খড়ের গাদায় প্রথমে আগুন লাগে। সে আগুন থেকেই পুরো নির্বাচনী অফিস পুড়েছে। আগুন লাগার ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। ’নোঙর প্রতীকের প্রার্থী যদি অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্তের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb5c271aa, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা," সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইটের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলার তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নে কুন্দইল গ্রামে সাখাওয়াত হোসেন সুইটের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এ বিষয় সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, ‘আজ বিকেলে প্রচারণা করার সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. আব্দুল আজিজের সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান টি এম আব্দুল্লাহেল বাকী ও মঞ্জিল তালুকদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।’তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলেই ছিলাম। হঠাৎ করে বেশ কয়েকজন লোক এসে সাখাওয়াত হোসেন সুইটের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালায়। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb5478cc5, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপি ও তাদের দোসর নির্বাচন বানচাল করতে চায়: শেখ হাসিনা," বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল বিএনপি-জামায়াত। তারা সন্ত্রাসী দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিএনপি ও তাদের দোসর নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। দুপুর ১টায় এ জনসভায় শুরু হয়।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই। তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর শুধু যে একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করেছে তা নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিল, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। শুধু তাই নয়, জয় বাংলা স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ এমনকি জাতির পিতার ছবিও নিষিদ্ধ করেছিল।’বরিশালবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শস্যভাণ্ডার হিসেবে বরিশালের সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই। বরিশালে মেডিকেল খুলে দিয়েছি, এ ছাড়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।’আজ দুপুর ১টার দিকে বরিশালে পৌঁছে সার্কিট হাউসে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে জনসভায় যোগ দেন তিনি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও জনসভায় যোগ দেন। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb3e172a7, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪," নৌকার প্রার্থীর একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প, গুনতে হলো জরিমানা"," নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থককে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে এ জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া।জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এক ইউনিয়নে একটার বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প থাকতে পারবে না কোনো প্রার্থীর। তবে এ নিয়ম না মেনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের অম্বরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলমের একাধিক অফিস (ক্যাম্প) স্থাপন করা হয়। এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১০ (গ) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোরশেদ আলমের সমর্থক লিটনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ১০(গ) লঙ্ঘন ও ১৮ ধারায় একই ইউনিয়নে অম্বরনগর ইউনিয়নে (একই ইউনিয়নে) একাধিক অফিস থাকার অপরাধে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক লিটনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় প্রশাসন কাজ করছেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb39b9fa6, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ইমিটেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে: রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ইমিটেশন নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।আজ শুক্রবার সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানমন্ডি পুরাতন ১৫ নম্বর এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা হচ্ছে অবৈধ নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন, ইমিটেশন নির্বাচন। নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। নির্বাচনের নামে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার জনগণকে ভেলকিবাজি দিচ্ছে। দেশের মানুষ এমন প্রতারণার নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসন চায় না। নির্বাচনের নামে ইমিটেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকূল ইসলাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক শওকত আরা উর্মি, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb4b57070, আমাদের সময়,২৯ ডিসেম্বর ২০২৩," জবি ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ, নির্বাচন বর্জনের আহ্বান"," নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার লক্ষে ঢাকা জজ কোর্ট ও ন্যাশনাল মেডিকেলের জনসন রোডের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।আজ শুক্রবার জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সহসভাপতি জুলকার নাইন, শামিম হোসেন, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, ইয়াকুব শেখ অনিক, দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আসিফ আল ইমরান, সমাজসেবা সম্পাদক রবিন মিয়া শাওন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম শাওন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মিরাজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়, ইমন, মাহবুব আলম, ফয়সাল মুরাদ, ইথার, আয়াত, সহপ্রচার সম্পাদক, মেহেদী হাসান, সদস্য শিহাব, রায়হান, আনোয়ার, তাজুল প্রমুখ।লিফলেট বিতরণ শেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb543c631, আমাদের সময়,২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত," নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুর কারণে সেখানকার নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শুক্রবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বৈধ প্রার্থী মারা গেলে তা বাতিল করা হবে।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘পরে ওই আসনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এখনকার বাকি বৈধ প্রার্থীরা তখনও প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। এই আসনে নির্বাচন স্থগিত করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি আরও বলেন, ‘নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক, যার প্রতীক ছিল ঈগল। তিনি আজ ভোর ৫টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমিনুল হক একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মৃত্যুবরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত করবেন।’আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।আমিনুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ছয়ফুল ইসলাম বলেন, মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার ঢাকায় যান আমিনুল হক। ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন গত মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb57333bb, আমাদের সময়,২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন," পিরোজপুর-১ আসনের ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে যেকোনো সময় এ অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানান কলাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেদায়াতুল ইসলাম।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাসুম জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের উদয়কাঠী এলাকার ৩৪ নম্বর গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি নির্বাচনী অফিসে রাত ১১টা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা কাজ করছিল। কাজ শেষে তারা চলে গেলে মধ্য রাতের যেকোনো সময়ে কে বা কারা ওই নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে কয়েকটি চেয়ার ও ওই অফিসের অনেকটা পুড়ে যায়।এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুজ্জামান শিমুল বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক ও মিথ্যা ঘটনা। ওই এলাকার নৌকার পথসভায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এটি করা হয়েছে।’পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুনের সূত্রপাত এবং কখন কারা আগুন নেভায় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য স্থানীয়রা দিতে পারেনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb1a958282, আমাদের সময়,২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে," আসন্ন নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে গরুর হাটের মতো প্রাথীদের কেনাবেচা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। বিশ্বের কোথাও বাহাদুরি করে এভাবে আসন কেনাবেচা ও ভাগাভাগি কখনো দেখেনি। নির্বাচনের নামে যাত্রাপালার আয়োজন করছে সরকার। আর নির্বাচন কমিশন যাত্রাপার্টির ভূমিকা পালন করছে। প্রহসনের নির্বাচন করে কেউ কোনোদিন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না।গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মহাসচিব আবু সৈয়দ, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান কমরেড অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, মহাসচিব অ্যাড. শাহ আলম বাদল, সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান কমরেড সৈয়দ ডা. নুরুল ইসলাম, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb18deb82, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের আগে পেট্রোবাংলার ৫ কোম্পানির এমডি পদে রদবদল ," নির্বাচনের আগে জ্বালানি খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রদবদল করা হয়েছে একই দিনে একই আদেশে। অতীতে এমন ঘটনার কোনো নজীর নেই।আজ বৃহস্পতিবার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পেট্রোবাংলার কন্ট্রাক্ট ডিভিশন এ কর্মরত মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) শাহনেওয়াজ পারভেজকে কাজের স্বার্থে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হলো।অন্যদিকে পেট্রোবাংলার সেবা বিভাগে কর্মরত আরপিজিসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ক্যাডার) মো. আতিকুর রহমানকে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উৎপাদন ও বিপণন বিভাগে কর্মরত পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) মো. আনোয়ারুল ইসলামকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফএসল) অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) উত্তম কুমারকে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।একই আদেশে জিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুখসানা নাজমা ইসহাককে সরিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বদলী করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb1a95e7813, আমাদের সময়, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী মিছিলে অস্ত্র হাতে যুবক," ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে এক যুবক দুই হাতে দুটি অস্ত্র উঁচিয়ে নৌকার পক্ষে মিছিলে অংশ নেন। বুধবার সন্ধ্যায় নান্দাইলের চ-ীপাশা ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে নৌকার মিছিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে অস্ত্র প্রদর্শনের ছবি আপলোড হলে সবার নজরে আসে। পুলিশেরও দৃষ্টিগোচর হয়। এ ঘটনায় রাতেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অস্ত্রের ‘মালিক’, অস্ত্র প্রদর্শনকারীকে খুঁজছে পুলিশ।এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) মোহাম্মদ সুমন মিয়া নান্দাইল মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ওয়াহিদুজ্জামান তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পিস্তল সদৃশ বস্তু দুটি তার নিজের বলে স্বীকার করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী শাহ আলম অস্ত্র দুটি তার হাতে প্রদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে পিস্তল সদৃশ বস্তু দুটি লাইটার বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অস্ত্র প্রদর্শনকারী যুবক শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb198bcb0, আমাদের সময়, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, টাঙ্গাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ জন আহত," টাঙ্গাইল-৩ আসনে ঘাটাইলে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার লক্ষীন্দরে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৭ নম্বর বাগ-আড়া এলাকার মো. হামিদুল ইসলাম (৫০), আমিরুল (৪১) মেম্বার ও মো. রুহুল আমীন (৩৪) ও মো. জাফর আলী (৪৫)।ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবু ছালাম বলেন, ‘আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cad3228914, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করুন : নজরুল ইসলাম," অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতেই সরকার একতরফা নির্বাচন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এ সরকারের কৌশল হলো নির্বাচনের নামে তাদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা। তাই জনগণকে বলব, এ পাতানো নির্বাচন প্রতিহত ও বর্জন করুন। দয়া করে ভোট দিতে যাবেন না। আপনার ভোটে কোনো কিছুর পরিবর্তন ঘটবে না। এখন যারা নির্বাচন করছে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থী কোটিপতি। এত কোটিপতি দেশে কোথা থেকে এলো? আমরা ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলাম আর আজ ২২শ পরিবার তৈরি হয়ে গেল। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। পরে চিকিৎসকদের নিয়ে পথচারীদের মধ্যে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।তিনি বলেন, ব্যাংক লুট হয়ে গেছে। কারা করেছে? সরকার কি জানে না, সরকার কি তাদের ধরতে পারে না? পারে, কিন্তু ধরে না। কারণ তারা সরকারি দলের লোক। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb06bece4, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে ফেলবে: গণতন্ত্র মঞ্চ," একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এ মন্তব্য করেন।এর আগে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পেট্রোবাংলার সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে কাটাবন মোড় পর্যন্ত মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন নেতারা।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। সমাবেশে বক্তব্য দেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু।নেতারা বলেন, ‘সারাদেশ তুষের আগুনে পুড়ছে। চারদিকে বারুদের স্ফুলিঙ্গ যে কোনো সময় ফেটে পড়বে। আমাদেরকে পুলিশ বাধা দিয়েছে, হামলা করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাদের মাটিতে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।’সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, ‘সবার জন্য আওয়ামী লীগ একাই ইশতেহার দিয়েছে। সব দলের নেতৃত্ব নিজে নিয়েছে। রাজনৈতিক দল ওনার পছন্দ না। ওনার একটা দল থাকবে, বাকিরা হবে সহযোগী সংগঠন। সবাই ওনার থেকে ভিক্ষার সিট নেবে। শেখ হাসিনা পুরো রাষ্ট্রকে তার পারিবারিক বিষয়ে পরিণত করেছেন। আওয়ামী লীগের এই দম্ভ টিকবে না।’সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকাংশ ও বিরোধী সকল মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা নির্বাচনের প্রায় দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রহসনের ক্ষণটা কেবল মঞ্চস্থ করা বাকি। যে নির্বাচনটাকে জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে সেটা নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র করছে সরকার। কাজেই দেশ নিয়ে এ সব খেলা জনগণকে রুখে দিতে হবে। দেশে ভাগবাটোয়ারার এই একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে নিয়ে যাবে।’সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিমসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cb0ee8103, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে: শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছয় জেলায় আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।আজ জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে নির্বাচনী জনসভা আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। তেজগাঁও প্রান্তে শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গতকাল (বুধবার) আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারটি পড়ুন এবং ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যান এবং নৌকায় ভোট চান।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর যাত্রা ২০২৬ সালে শুরু হবে। আমরা গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে ক্ষমতায় আসলে সেই অগ্রযাত্রাটা ধরে রাখতে। সে কারণে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবেন। আপনারা ভোট চাইবেন। জনগণ ভোট দিয়ে যেন আমাদের সেবা করার সুযোগ দেন।’তিনি বলেন, ‘আর একটি কথা, এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয়, প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল আর একটি দল (জামায়াত) হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। আর এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসী দল তারা নির্বাচনে বিশ্বাসও করে না, মানুষ খুন ছাড়া আর দুর্নীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cac9e9a487 , আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ভাঙচুর পাল্টাপাল্টি মামলায় নির্বাচনী প্রচার," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রচারে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নানা স্থানে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহের কয়েকটি আসনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। ফরিদপুরের এক আসনের দুই প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছেন। এ ছাড়া, চাঁদপুর ও জয়পুরহাটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।ফরিদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ সংবাদ সম্মেলন করেন নিজের বাসভবনে।সংবাদ সম্মেলনে শামীম হক অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে এ কে আজাদ। বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নেরও অভিযোগ আনা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকার মামুদপুর, মোল্লার বাজার, বটতলায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন তিনি। তা ছাড়া নৌকার বিভিন্ন ক্যাম্পে হামলার অভিযোগও তোলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল ব্যানার্জী, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোসসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদপাল্টা হামলার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের মাঠে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকার নির্বাচনী অফিসের শামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফেস্টুনে ও নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে দাইপুকুরিয়া, বিনোদপুর ও ইকবালপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনটি ঘটনাস্থলই পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তিনি জানান, দাইপুকুরিয়া এলাকায় নৌকার নির্বাচনী অফিসের শামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিনোদপুর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের একটি নির্বাচনী অফিসের সামনে ঝোলানো ফেস্টুনে এবং ইকবালপুর এলাকার অপর একটি নির্বাচনী অফিসের গেটের সামনের অংশে বাঁশে জড়ানো কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি।শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বেড়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।অটোরিকশাচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন, রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন কিসের যেন পোড়া গন্ধ আসতে থাকে। বের হয়ে নৌকার অফিসে আগুন দেখতে পাই। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে দেখিনি।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন।ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হক শামীমের (ট্রাক প্রতীক) ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মোহিত উর শান্তর ক্যাম্পে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নৌকার ৩ সমর্থক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মধ?্য বাজার প্রচারণা ক?্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকটি ক্যাম্পে ট্রাক প্রতীকের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সমর্থকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।চাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী জাফরসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার দিন ও সময় কাজী জাফর ঢাকায় ছিলেন বলে জানা গেছে।গতকাল বুধবার দুপুরে অনুপস্থিত ব্যক্তির নামে কীভাবে মামলা হয়েছে এই বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুরের (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবিরের সঙ্গে। তিনি এই বিষয়ে বক্তব্য না দিয়ে থানায় ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে আসামিরা নৌকার কর্মীদের মারধর করে এবং তাদের নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মামলায় ২৭ জনের নাম ও ১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং ককটেলের অংশ বিশেষ পেয়েছে। পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জানি না। যেহেতু বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকের নাম বাদ দেওয়া হবে।এদিকে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী জাফরের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর। তবে তিনি অবস্থান করেন ঢাকায়। সেখানে তিনি নিজ কার্যালয়ে পত্রিকা সম্পাদনাসহ নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জয়পুরহাট-২ (কালাই-ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে আওয়ামী লীগ ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের পক্ষে জুলফিকার আলী চৌধুরী বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কটূক্তির জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্ষেতলাল পৌর শহরের ইটাখোলা বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই বুধবার মামলা দায়ের করেছেন।রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের প্রচার মাইক পাংশা উপজেলার পাট্রা ইউনিয়ন এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় রোমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাট্রা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের দেহরক্ষী।জানা গেছে, বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজবাড়ী-২ আসনের পাংশা উপজেলার পাট্রা ইউনিয়নে অটোযোগে ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় বাধা দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ^াস ও তার দেহরক্ষী রোমান। ঘটনার পরপরই পাংশা থানাপুলিশ পাট্রা ইউপির বাহের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোমানকে গ্রেপ্তার করে। পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cac9c9e758 , আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ইইউকে বিএনপি নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে," সফররত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে বিএনপি। এতে দলটি বলেছে, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলে কারা বসবে তাও ঠিক করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনের নামে এটি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপি।বৈঠকে বিএনপির পক্ষে অংশ নেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান। ইইউ প্রতিনিধি দলে ছিলেন রেবেকা কক্স, শার্লোট সুয়েবেস। বিকাল ৩টা থেকে বৈঠক শুরু হয়ে ৪টার পর শেষ হয়। বৈঠকের বিষয়ে কোনো পক্ষই গণমাধ্যমকে কিছু বলেনি।বৈঠকে দলটির নেতারা ইইউ প্রতিনিধি দলকে বলেছেন, সরকারবিরোধী দলবিহীন যে একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেটি কোনো নির্বাচন নয়, নির্বাচনের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের কিছু তথ্যপ্রমাণও দেওয়া হয়।বৈঠকে উপস্থিত একজন নেতা বলেন, তারা ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছেন আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সরকারের কতটা সাজানো এবং পাতানো। এখানে আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ নৌকার প্রার্থী, কেউ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিরোধী দলও ঠিক করছে তারা। যাদের বিরোধী দল হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তারা সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে। এখানে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকাও বিএনপির পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া ড. আবদুল মঈন খান আমাদের সময়কে বলেন, আমরা নির্বাচনের বাস্তবতা তুলে ধরেছি। বলেছি, এটি কোনো নির্বাচন নয়, নাটক হচ্ছে।এর আগে দুপুরে সিলেটের একটি হোটেলে বিএনপির বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউর দুই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী অংশ নেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেছে ইইউ প্রতিনিধি দল। গত ২ ডিসেম্বর প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগ বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও তারা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, দক্ষিণের আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন অংশ নেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cabc5e813, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচারণায় টাকা বিলির ভিডিও ভাইরাল," নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীর পক্ষের ঘনিষ্ঠ এক অনুসারীর প্রকাশ্যে টাকা বিলির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর মাস্টার। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তার পেছনে কর্মী-সমর্থকরা শাহজাহানের নির্বাচনী প্রতীক ‘কেটলি’র পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় নুরুলকে পকেট থেকে টাকা বের করে তার পাশের একজনকে দিতে দেখা যায়।ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত ২১ ডিসেম্বর দাউদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘কেটলি’ প্রতীকের প্রচারণার সময় বলে জানা যায়। প্রচারণার সময় ভিডিও ধারণ করে তা নিজের ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন শাহজাহান ভূঁইয়ার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা নাসিম মোল্লা।এই বিষয়ে জানতে দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।তবে ‘কেটলি’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, ‘যে টাকা বিলি করছে, সে আমার কতটুকু কাছের লোক, সে আমার নির্বাচন করে কিনা সেইটা দেখার ব্যাপার আছে। ওই ব্যক্তি আমাকে বিতর্কিত করার জন্য এমনটা করেছেন কিনা সেটাও একটি বিষয়। কারণ টাকা বিলিয়ে নির্বাচন আমি করি না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cabf8200a, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, গাজীপুরে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন," গাজীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুমানা আলীর নির্বাচনী ক্যাম্পের আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের নারায়ণপুর বেড়াবাড়ি বাজারে ঘটনাটি ঘটে।নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুনের খবরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।গোসিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান জানান, শ্রীপুর উপজেলার নারায়ণপুর বেড়াবাড়ি এলাকায় আওয়াী লীগের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। সেখান থেকে নারায়ানপুর ও বেড়াবাড়ি এলাকার আশপাশে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানো হত। ওই নির্বাচনী ক্যাম্পের পাশের দোকানে ঘুমিয়ে ছিল রুবেল নামে দোকানি। গতকাল রাতে রুবেল প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ পেয়ে ঘুম থেকে ওঠে। দোকানের সাটার খুলে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন জ্বলতে দেখে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। আগুনে চার-পাঁচটি চেয়ার ও দুটি টেবিল পুড়ে যায়।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, ‘আগুন লাগার খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ‘নির্বাচনি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শ্রীপুর থানা পুলিশকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ স্বতন্ত্র হিসেবে ট্রাক প্রতিকে লড়ছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cabcde489, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন দেশকে আরও অন্ধকারে নিয়ে যাবে: গণতন্ত্র মঞ্চ," সাজানো, একতরফা এবং জোরজবরদস্তির নির্বাচন দেশকে আরও ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ বুধবার ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’— এ আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগের আগে পথ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে পথ সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মী ও নেতারামগবাজার রেলগেট পর্যন্ত মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে।বক্তারা বলেন, ‘সরকার এমন একটি নির্বাচন করছে, যেখানে সরকার কে হবে তা কেউ জিজ্ঞাসা করে না। সব দিক থেকে শুধু প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা উঠেছে যে, বিরোধী দল কে হবে? এই তামাশায় মানুষ আসবে না। যে সরকার ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, তাদের সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। ৭ জানুয়ারির এই তামাশার ভোট বর্জন করে মানুষ তাদের সমুচিত জবাব দেবে। সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ অসহযোগিতার মধ্য দিয়ে অহিংস আন্দোলন করছে।’নেতারা আরও বলেন, ‘সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি জনগণের অংশগ্রহণ না থাকে, প্রতিনিধিত্ব না থাকে, তাহলে সেই সরকারকে সহযোগিতা করার নৈতিক কারণ জনগণের নেই। সরকার তাদের নির্বাচন নামক খেলাতে অংশ নিতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড,বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা কার্ড জমা নিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ ইতোমধ্যেই এই তামাশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি এর সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিমসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018cab9d9925, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ঈগল ভেবে জীবন্ত শকুন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা," জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে প্রার্থীর সমর্থকরা ঈগল ভেবে জীবন্ত এক শকুন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছিল। পরে দেখা যায় সেটি ঈগল নয়, বিপন্ন প্রজাতির একটি শকুন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শকুনটি উপজেলার মকা গ্রাম থেকে উদ্ধার করেন জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা।স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহখানেক আগে বানিয়াচং উপজেলার ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা হাওর থেকে ওই শকুনটি ধরা পড়ে। পরে পাখিটিকে ঈগল ভেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালান সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তারা অবহিত হলে অভিযান চালিয়ে শকুনটি উদ্ধার করেন।বন বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, বিপন্ন প্রজাতির এই শকুনটি বর্তমানে অসুস্থ। উপযুক্ত চিকিৎসার পর শকুনটি অবমুক্ত করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018caa1ed057, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচারে হুমকি ও বাধা দেওয়া হচ্ছে: এ. কে. আজাদ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমার নির্বাচনী প্রতীক ঈগলের পক্ষে প্রচার কাজ চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হচ্ছে।’আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অব্যাহত হামলার বিষয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।এ. কে. আজাদ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী অফিস খুলতে পারছেন না কর্মী সমর্থকরা। তাদের হুমকিও দেয়া হচ্ছে, বাধা দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে অনেক জায়গায় নির্বাচনী অফিস খুলতে পারছি না।’ এসময় নির্বাচনী প্রচারে যারা হুমকি ও বাধা দিচ্ছেন তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছে জানিয়ে আজাদ বলেন, ‘এই লোকগুলো আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তাদের নামও মুখে আনতে ভয় পাচ্ছেন আমার কর্মীরা।’ ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘এরা বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছেন, অফিস ভাঙচুর করেছেন। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন। হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘কাল থেকে ঈগল প্রতীকের ক্যাম্পেইন করলে তোকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’এ. কে. আজাদ বলেন, ‘ফরিদপুরের সারা শহরে দিনের বেলা পোস্টার লাগাই। কিন্তু রাতের বেলা সেগুলো উঠানো হয়।’এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018caaa4492a, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার দুপুরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন এ ঘোষণা দেন।তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের গোলাম নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। চরমোনাই পীর ঘোষণা দিয়েছেন ৭ তারিখের নির্বাচনে দেশবাসী অংশগ্রহণ করবে না। আমরাও সেই নির্দেশনা মোতাবেক ভোট দিতে যাব না। গণমানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে গণসংযোগ করছি।’যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমেদ সাকি বলেন, ‘দেশের মানুষ পাতানো নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ৭ তারিখ যদি নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে চরমোনাইয়ের পীর সৈনিকরা নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তাই করবে।’সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল বের করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীর। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে গিয়ে শেষ হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018caaa4492a, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩," আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, কিন্তু..."," গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। ভোট দিতে চাই। তাহলে কেন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নির্বাচন বিরোধী আন্দোলন করছি। কারণ, সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে ফেললে দেশের উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসবে। বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই দেশের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমাদেরকে এই আন্দোলন করতে হচ্ছে।’আজ বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় শান্তিনগর মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে পথসভা শেষে শান্তিনগর মোড়, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে গণঅধিকার পরিষদ।এ সময় নুর বলেন, ‘আপনারা দেখছেন পুলিশ আমাদের এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বার বার শেষ করতে বলছে, মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করতেছে। একটা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কতক্ষণ চলবে, কী বক্তব্য হবে তাও পুলিশ ঠিক করে দিবে? মনে হচ্ছে দেশে পুলিশি শাসন চলছে। আমরা দোয়া করি, শেখ হাসিনা ডামি প্রধানমন্ত্রী আর পুলিশ প্রধান ফুল মন্ত্রী হোক। বাংলাদেশের নির্বাচনে এমপি হওয়ার মনোনয়ন বিক্রি হয় ভারতে। এমনকি এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলে আমি ভারতের প্রার্থী। নির্বাচন কী হবে, ভোটের হার সবই ঠিক হয়ে গেছে। শুধু রাষ্ট্রের কয়েকহাজার কোটি টাকার প্রার্থী, ডিসি-এসপিসহ বিভিন্ন জনকে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের নাটক। এভাবে কতিপয় ডিসি, এসপি, কতিপয় নেতা শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে সবজি কিনলে মাংস কিনতে পারে না, একটা সবজি কিনলে তেল কিনতে পারে না। আর তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত রাখতেই আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন।’তিনি বলেন, আমরা জনগণকে এই ভারতীয় মদদের একতরফা নির্বাচন বর্জনের কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যেমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণ আমাদেরকে বলছে, যে খেলায় রেফারি নাই, প্রতিদ্বন্দ্বী টিম নাই, সে খেলায় তারা অংশগ্রহণ করবে না। তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেব কি খেলা খেলবে? ডামি খেলা, স্বতন্ত্র খেলা? ফাঁকা মাঠে গোল দিবে?’তিনি বলেন, ‘হায়রে নির্বাচন! আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে চাই, ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ জিতলে ডামি প্রধানমন্ত্রী কে হবে? রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে দেশের রাজনীতি ধ্বংস করছে ভারত। ভারত চায় না বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক। তাই আগামীতে যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয় এবং ভারত বলতে পারে তোমরা তো দেশ চালাতে পারছো না, আসো তোমাদের অঙ্গ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করি। তাই একতরফা নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি।’রাশেদ বলেন, ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দ্যা ইকোনোমিস্ট লিখেছিল, পাকিস্তান হবে দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু রাষ্ট্র আর বাংলাদেশ হবে ভারতের মক্কেল। আজকে তাই প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সবকিছু ভারতের নিয়ন্ত্রণে। আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের ৯২ হাজার কোটি টাকা তারা লোপাট করেছে। এবারও সেই লোপাটের জন্যই ভূয়া নির্বাচন করতে যাচ্ছে। আমরা জনগণকে বলবো, ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচন বর্জন করুন।’গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, শ্রমিক নেতা মাহবুবুল হক শিপন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca9a580f3, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ নেই: রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণ একতরফা পাতানো নির্বাচন বর্জন করছে। অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে ডামি ও তামাশার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না। এই নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই।বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে আজ বুধবার সকাল ৭টায় শান্তিনগর মোড় ও কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বও তথাকথিত ভোটের উৎসবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জোর করে তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। রিলিফ ও ভাতার কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গা না দেওয়ার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাবি ছাত্রদলের রাজু আহমেদ প্রমুখ ।বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca47adc91 , আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩," স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা-মারধর, নৌকার ১১ সমর্থক গ্রেপ্তার"," নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বাধা প্রদান ও মারধরের ঘটনায় নৌকার ১১ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এর আগে এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রুপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌকার ১১ সমর্থককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার জানান, সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মো. চান মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা রূপগঞ্জ থানাধীন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলী) শাহজাহান ভূইয়ার পক্ষে প্রচরণা করেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় থাকা নেতাকর্মী ও সমর্থক কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার শমসের আলীর (৪০) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের কেটলী প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করেন। এ সময় তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার রাতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ইমন মাহমুদ রবিন (২৫), সেন্টু তালুকদার (৪৯), মো. ডন শরীফ (৪৫), আনিসুর রহমান শাওন (৩২), রাসুকুল ওরফে রাকিব (৩০), মো. চান মিয়া (২৭), মো. মাজিদুর রহমান নয়ন (৩৬), এনায়েত উল্লাহ শিপলু (৩৭), মো. ফয়সাল (২৫), মো. ইমন (১৮) ও মো. হারুনুর রশিদ (২৮)।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c34f078af, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দলের নাম কেউ শোনেননি: রিজভী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিবন্ধিত ২৯ দলের মধ্যে তিন-চারটি ছাড়া অন্য দলগুলোর নাম কেউ শোনেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে দলের পক্ষে থেকে তিনি এই মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের প্রতিনিয়ত শব্দ বাজি ফাটিয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। তিনি এখন বলেন, ২৯ টি নিবন্ধিত দল নিয়ে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করছেন। তাদের এই ২৯ দলের মধ্যে তিন-চারটি বাদে অন্যগুলোর নামও শোনেনি কেউ।স্বগৃহে ইলেকশন থিয়েটারে রঙ্গনাটক মঞ্চস্থ করতে যাদের আনা হয়েছে তারা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গ-অনুষঙ্গ। এটা আসলে বাকশালের নতুন ভার্সন। আপডেটেড বাকশাল ২.০ ভার্সন। এই তথাকথিত বাকশাল সঙ্গীদের নিয়ে ‘সুপার-ইমপোজড’ নির্বাচনের আজব তামাশা করছেন শেখ হাসিনা।’বিএনপিসহ সমমনা দল এই নির্বাচন বর্জন করে সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবি ও নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এই নির্বাচনকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে যেমন চলেছে প্রার্থী বেচাকেনা, তেমনি তাদের রাজি করাতে কাজে লাগানো হয়েছে চাপ প্রয়োগের কৌশল। মামলা, হামলা, হুমকি কোনো কিছুই বাদ যায়নি এ থেকে। কথিত দু-তিনটি রাজদল বা কুইন্স পার্টি নামকাওয়াস্তে গঠন করে বিএনপিসহ সকল জনপ্রিয় দলকে দূরে সরিয়ে তাদের নির্বাচনের পাতানো খেলার মাঠে নামানো হয়েছে।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনাররা আধা রোবট হয়ে গেছে। তাদের বদৌলতেই শেখ হাসিনা ভোটার নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চাচ্ছে। নানা কৌশল করছে সেগুলো তারা বাস্তবায়ন করছেন। কারণ এই রোবটদের সুইচ আছে শেখ হাসিনা হাতে।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছেন। এই প্রহেলিকার উত্তর লুকিয়ে আছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায়। বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত আসামি তেলেসমাতির জামিনে এক ঘণ্টায় কারামুক্ত হয়ে নৌকায় চড়ে স্বঘোষিত হ্যাডমওয়ালা ব্যক্তির মুখ থেকে শুনলাম ২ কোটি দিয়ে প্রত্যেককে ইলেকশনে দাঁড় করানো হয়েছে। তিনিই বলেছেন, ‘‘এগুলো তো ফকিন্নি পার্টি। দু-তিন কোটি টাকা পাইছে, দাঁড় করাইছে”।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনকে লোক দেখানো বৈধতা দিতে সরকারের প্রস্তুতি ছিল প্রার্থী বেচাকেনার হাট জমিয়ে তোলার। কর্মীবিহীন নাম সর্বস্ব দলের নেতাদের পকেটে পুরতে উদয়াস্ত খেটেও সুবিধা করতে পারেনি সরকারি দলের আজ্ঞাবহ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। একদিকে যেমন চলেছে বেচাকেনা তেমনি কাজে লাগানো হয়েছে চাপ প্রয়োগের কৌশলও। মামলা, হামলা হুমকি কোন কিছুই বাদ যায়নি এ থেকে। কিন্তু কথিত দু-তিনটি ‘রাজদল’ বা কুইন্স পার্টি নামকাওয়াস্তে গঠন করে বিএনপিসহ সকল জনপ্রিয় দলকে দূরে সরিয়ে তাদের নির্বাচনের পাতানো খেলার মাঠে নামানো হয়েছে।’রিজভী বলেন, ‘গত দুই মাসে প্রায় ২০ হাজার মুক্তিকামী জনতাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। বন্দী নির্যাতনের নেপথ্যে কাহিনী অবর্ণনীয়, এগুলো হচ্ছে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা, অসুস্থ বন্দীকে হাত-পায়ে শিকল পড়িয়ে কারা হাসপাতালের ফেলে রাখা, ছোট্ট সেলে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বন্দীকে গ্যাস চেম্বারের মতো নিগৃহীত করা। অত্যাচারে কাশিমপুর কারাগারে ৬ দিনের ব্যবধানে বিএনপির দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca81503f83, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, পাতানো নির্বাচনের মদদদাতা ভারত," আসন্ন নির্বাচনে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিসহ সব দলকে বাদ দিয়ে এ পাতানো নির্বাচনের অন্যতম মদদদাতা হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশের নাম সর্বজনবিদিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে একদলীয় নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছেন। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার চায় না। এদিকে ‘আমরা আর মামুদের’ একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবরুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকলেও বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য জনগণের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়েছে। মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। ভোটের উৎসবের বদলে সর্বত্র আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। দেশকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায় তারা। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি-ডামির ভোটরঙ্গে। এখন তাদের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। ভারত মনোনীত প্রার্থীরা বীরদর্পে বলছেন- ‘আমাকে ভারত মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’ এই বক্তব্য চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। তার মানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে- ভারত তাদের অনুগত বহুসংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে। তা হলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কি বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এদেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে?গাজীপুরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকা-ে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবিরকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানান রিজভী। তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য প্রতিটি আগুনসন্ত্রাসও সরকারের পরিকল্পিত নাটক। এ পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে তাদের অনেকেই সরকারি দলের লোকজন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca22c23eb8, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের আহ্বান, তফসিল বাতিল করে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। পাশাপাশি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার এ ষড়যন্ত্র রুখতে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয়। গতকাল দলটির কার্যালয়ে জাতীয় সমন্বয় কমিটির বর্ধিত সভায় এ দাবি জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন পরিচালনাসহ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে ন্যূনতম সমঝোতার ভিত্তিতে ‘জাতীয় সমঝোতা সনদ’ গ্রহণ ও পরবর্তী সংসদের প্রথম অধিবেশনে গৃহীত ‘জাতীয় সমঝোতা সনদ’র ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের জন্য বিল পাসের আহ্বান জানানো হয়।,Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca47ab820, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩," শামীম ওসমানের নির্বাচনী বৈঠকে ঢিল, নারী কর্মী আহত"," নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে ঢিল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এক নারী কর্মী আহত হন।সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পিলকুনি পাঁচতলা এলাকার মোবারক মিয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।আহত ওই নারীর নাম লিপি বেগম। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী বলে জানা গেছে।ভিডিওতে দেখা যায়, শামীম ওসমান উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় হঠাৎ এক নারীর চিৎকার শোনা যায়। এ সময় ওই নারীকে মাথা চেপে ধরতে দেখা যায়। পরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান। এ সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসনের শরীরে আরেকটি ঢিল পড়ে।শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার প্রোগ্রামে ঢিল ছুড়ে মেরেছে, কে মেরেছে বের হয়ে যাবে। এক বোন আমার নির্বাচনী প্রচারণায় এসে আহত হয়েছেন। অনেক কষ্টে মেজাজ ধরে রেখেছি।’নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্‌ নিজাম বলেন, ‘ঢিলে আমাদের এক নারী কর্মী আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঢিল কে মেরেছে, তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরে আযম মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9db483522, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের কারণে পেছাচ্ছে বাণিজ্যমেলা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) শুরুর সময় পেছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সাধারণত ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু হয়। তবে ২০২৪ সালের জন্য তা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরুর পরিকল্পনা করছে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইপিবি।ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই মেলা শুরুর দিন পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে শুরু হবে সেই তারিখ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ হয়নি। প্রাথমিকভাবে ১৫ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরুর পরিকল্পনা ধরে প্রস্তুতির কাজ এগোচ্ছে। প্রয়োজনে মেলার উদ্বোধনী আরও কিছুদিন পেছানো হতে পারে। আরও জানা গেছে, মেলার প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে স্টল বরাদ্দ, প্রধান ফটক, টিকিটিং বুথ নির্মাণসহ সব খাতের টেন্ডার বা ইজারা প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্টল বরাদ্দসহ ইজারাসংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়াও আগমী কয়েকদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই বছর ধরে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আগামী বছর সেখানে তৃতীয়বারের মতো ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হতো।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca03dc019, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নওগাঁয় এক রাতেই পাঁচ নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনের পাঁচটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার রাতে শহরের গোস্তহাটির মোড়, সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজার মোড়, বক্তারপুর ইউনিয়নের হালঘোষপাড়া এবং চকতারতাও মুক্তারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গতকাল রবিবার রাতের বিভিন্ন সময়ে ওই পাঁচ নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর।নৌকার সমর্থকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুল জলিলের ছেলে হওয়ায় নিজাম উদ্দিন জলিল জনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আসন্ন নির্বাচনে আবারও তিনি বিজয়ী হবেন জেনে নৌকার সমর্থকদের ওপর ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করতে এক রাতে নৌকার ৫টি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সমর্থকরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকার সমর্থকদের উস্কে দিতে যা যা করা দরকার করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণের সমর্থকরা। বিপরীতে নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন শান্তি বজায় রেখে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন। গতকাল রবিবার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময়ে দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা তুলে ধরেছি। তাৎক্ষণিক দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণকে সাবধান করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। অথচ ওই রাতেই তার সমর্থকরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে নৌকার বিভিন্ন ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় থানা ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’অভিযোগ বিষয়ে নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় পরাজয় নিশ্চিত জেনে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতেছে নৌকা প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল জনের সমর্থকরা। নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নাটক সাজাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমার সমর্থকদের হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে নৌকার সমর্থকরা। তাদের অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, রাতে নৌকার ৫টি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca0392c00, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচন বন্ধ করে সংলাপে বসুন, সরকারকে পেশাজীবী পরিষদের নেতারা"," একতরফা নির্বাচন বন্ধ করে সংকট সমাধানে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। আজ সোমবার সকালে ‘৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে’ লিফলেট বিতরণ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ আহ্বান জানান।এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা-কর্মীরা সমবেত হন। সমাবেশ শেষে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে তোপখানা রোডে পথচারি, বাস-রিকশা চালক ও যাত্রীদের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা।সমাবেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। এক সাগর রক্তের বিনিময় যেই দেশটি আমরা সবাই মিলে স্বাধীন করলাম গণতন্ত্রের জন্য, মানবাধিকারের জন্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে সেই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। এর চেয়ে দুঃখ আর কী হতে পারে। আপনি ১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট করলেন, ১৮ সালে রাতে ভোট করলেন, এখন আবার তামাশার ডামি নির্বাচন শুরু করেছেন। এ নির্বাচন কেউ মানে না, বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচন মানে না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এই নির্বাচনী খেলা বন্ধ করেন, তফসিল-ভোট বন্ধ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একটি ‍সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন।’রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘অন্যথায় এই নির্বাচন করে আপনি যদি মনে করেন চিরস্থায়ী আরেকটি বাকশাল শাসন কায়েম করবেন সেটি হবে দু:স্বপ্ন। এদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী মানুষ, এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পূজারি মানুষ। এই দেশের মানুষ কখনো পরাধীনতা মেনে নেয় না, কখনো পরাধীনতা মেনে নেবে না।’রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।সমাবেশে অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী আব্দুল হালিম মিঞা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, সাংবাদিক বাছির জামালসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9b890a08, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, আমাদের নির্বাচনে অনেকের চোখ আছে: সুজন সম্পাদক," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশ-বিদেশের অনেকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রম, ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।সুজন সম্পাদক বলেন, ‘গত দুটি যে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যেটার কারণে সরকারের যে লেজিটিমেসি (বৈধতা/ন্যায্যতা) সমস্যা তা আরও ভয়াবহ হবে। সরকার কিন্তু এই লেজিসলেটিভ সমস্যা দূরীভূত করতে পারবে না। বরং আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। কারণ, আমাদের নির্বাচনে কিন্তু আরও অনেকের চোখ আছে। অতীতে কিন্তু এই চোখ ছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের আরও বিদেশি বন্ধুদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে আমাদের সার্বভৌমত্বও ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিস্তৃত বলব না, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেতে পারি।’বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমি তো আসন্ন নির্বাচনকে নির্বাচনই মনে করি না। নির্বাচনের যে সংজ্ঞা তার মধ্যেই এটা পড়ে না। নির্বাচনের যে গ্রামার—বিকল্প থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ, সেটাও নেই।’সুজনের সহযোগিতায় দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের পক্ষ থেকে ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সদস্যরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনে দুটো প্রধান ব্র্যান্ড। একটা আওয়ামী লীগ ও আরেকটা বিএনপি। বিএনপি তো নেই। যদি না থাকে তাহলে নিশ্চিত করে বলাই যায়, আওয়ামী লীগ চাইলে সবার সঙ্গে জিতবে। কিন্তু তারা আসন ভাগাভাগি করছে কেন? অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে, নিজেদের অনুগত বা নিজেদের সৃষ্ট নাম সর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে।’তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, জাতীয় পার্টি দ্বারা মনোনীত ও আওয়ামী লীগ দ্বারা সমর্থিত। তাহলে এটাতে প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। এটা ভোটের খেলা, নির্বাচন-নির্বাচন খেলা, যা নির্বাচনী সংজ্ঞায় পড়ে না।’বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন আসন্ন, কিন্তু তাদের নিয়োগের বৈধতার প্রশ্ন কখনো যাবে না। ভবিষ্যতে ইস্যু হয়ে থাকবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে অনেক বিতর্কিত কাজ করছেন। যেমন শাহজাহান ওমরের ব্যাপার, তিনি মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যে মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও জামিন পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সেটিই তিনি গোপন করেছেন। যা চরম বিতর্কিত।’বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এই রকম আরও অনেকে অনেকের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু আইনগতভাবে তারা কেউই বৈধ নাম প্রস্তাবকারী ছিলেন না। অথচ তাদের নাম প্রস্তাবের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। যারা বৈধ নয়, তাদের প্রস্তাবেই যদি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় তাহলে তাদের বৈধতা নিয়েও তো প্রশ্ন উঠেই। এটা নিয়ে আমি বহু সমস্যার মধ্যে আছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9c30feff, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩," ‘নির্বাচনের ট্রেন দূরে চলে গেছে, বিএনপির আর ওঠার সুযোগ নেই’"," বিএনপির এখন আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। আজ রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। জেলা সদরের হাছন রাজা মিলনায়তনে জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ সভা হয়।ইসি আনিছুর বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন অনেক দূরে চলে গেছে, এখন আর ওঠার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপিকে অনেকবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা তিনজন কমিশনার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের আগে পর্যন্ত বিএনপিকেনির্বাচনে আসার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি। তখন বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এখন আর সুযোগ নেই। এখন কিছু করলে আইনি জটিলতায় পড়ে যাবে কমিশন। নির্বাচনের ট্রেন সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাবে।’তিনি বলেন, ‘এবার বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক আসছেন বিভিন্ন দেশ থেকে। দেশগুলোর দূতাবাস এবং সংস্থার লোকরা আমাদের কাছে সময় বাড়ানোর কথা বলেছেন, আমরা বাড়িয়েছি। এখন তারা লিস্ট পাঠিয়েছেন। এই লিস্টটি পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে। অধিকাংশ পর্যবেক্ষককে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে এবং তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।’ইসি আনিছুর আরও বলেন, ‘দুই হাজারের বেশি দেশি পর্যবেক্ষকের আবেদন এসেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আমাদের চোখে নির্বাচন ভালো বললে হবে না, আন্তর্জাতিক, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা দেখে বলতে হবে। মার্কিন দূতাবাস থেকেও একটি বড় তালিকা এসেছে। তারা পর্যবেক্ষণ করবে তাদের মতো করে।’আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের আগে বা পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সুযোগ নেই। সব পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে। ভোটের আগে ও পরে মোট ১০ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9d10502b16, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নই : জাফরউল্যাহ," নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নই, ফরিদপুরের এসপি চান না এখানে নৌকার নির্বাচন হোক। তিনি চান না সদরপুর-ভাঙ্গাতে নৌকা জিতুক। টাকার জন্য তিনি নৌকা হারাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহ গতকাল দুপুরে সদরপুরে এক নির্বাচনী সভায় এ কথা বলেন।সদরপুর স্টেডিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিতহয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজী জাফরউল্যাহ নিজ গ্রাম ভাঙ্গার কাউলীবেড়া থেকে নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় গাড়িযোগে সদরপুরে পৌঁছান। এরপর নির্বাচনী সভায় যোগ দেন ও গণসংযোগ করেন।নির্বাচনী সভায় কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ আমি দেখছি সদরপুরে খুন-রাহাজানি হচ্ছে। সদরপুরের চর বলাশিয়ায় নৌকার একজন কর্মীকে কোপ দিয়ে মাথা দুই টুকরা করে দিয়েছে। সে ট্রমা সেন্টারে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। অথচ আমরা যখন বিষয়টি থানাকে জানাই, তারা বলে মামলা নিতে হলে ওদেরও (অপরপক্ষের) মামলা নিতে হবে। তার মানে তারা সম্পূর্ণরূপে নিক্সনের (প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন) পক্ষে।কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, তিনি (এসপি) লাইন নিয়েছেন ফরিদপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে। কারণ ফরিদপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই টাকাওয়ালা। টাকা আছে যেখানে, আমাদের প্রশাসন এসপি আছে সেখানে। আমরা লড়াই করে মাঠে আছি। গরিব-দুঃখী মানুষ ৭ তারিখে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করবে। যদি এসপি-ডিসি, ওসি আসুক মানুষের শক্তির সঙ্গে তারা পারবে না।এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দীপক মজুমদার, আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9d188fb412, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে প্রার্থীরা," টাঙ্গাইল সদরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ছাড়া অর্থাৎ জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা এ সংশয় প্রকাশ করেছেন।শনিবার দিনব্যাপী টাঙ্গাইল পৌরসভা মিলনায়তনে কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটর্স ওয়ার্ল্ড (সম্মিলিত মানবাধিকার বিশ^) টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট আয়োজিত পরিচিতি ও এক মঞ্চে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থীদের ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভায় এ সংশয় প্রকাশ করেন তারা।অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও সংগঠনের উপদেষ্টা এসএম সিরাজুল হক আলমগীর। উদ্বোধক ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংগঠনেরউপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ। কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটর্স ওয়ার্ল্ড টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ উর রহমান টগর।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে বাধা, কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও অফিস ভাঙচুরের সমালোচনা করেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বরাবর দফায় দফায় অভিযোগের পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কেটলী প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবীব, মাথাল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, পাটের আঁশ প্রতীকের তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. শরিফুজ্জামান খান মহব্বত, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত একতারা প্রতীকের প্রার্থী মো. হাসরত খান ভাসানী, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ নির্বাচনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেনের পক্ষে বিদ্যুৎ ও বিএনএম মনোনীত নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব) তৌহিদ চাকলাদারের পক্ষে তার ছোট ভাই মো. তৌসিফুর রহমান চাকলাদার উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটর্স ওয়ার্ল্ড নবগঠিত টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সব পর্যায়ের নেতারাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c348b8686, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, এ নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: ইসলামী আন্দোলন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ আখ্যা দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেছেন, ‘এই নির্বাচন অবৈধ নির্বাচন। এ নির্বাচন দেশের মানুষ মানে না। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, এই নির্বাচনে যেন কেউ কোনো সহযোগিতা না করে।’আজ সোমবার বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ একটি আতংকের নাম, আওয়ামী লীগ একটি গজবের নাম। এ সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, শিক্ষাসহ প্রতিটি খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে ৪০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা সম্ভব। যেকোনো খাদ্যমূল্যের ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।’সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের সম্পাদক আবু সাইদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুর রহমানসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c346eed89, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩,অবসরের ৩ বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়: হাইকোর্ট," সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের পর তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।আজ সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেয় হয়। শুনানি শেষে বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।রায়ে আদালত বলেন, রিটকারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় সম-অধিকার ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত শুনানি করেন।চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। এছাড়া একই ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরওি অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। এবার একত্রে সবগুলো রুলের চূড়ান্ত শুনানি করা হয়েছে।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং যদি উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ca6f8c1073, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩,নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও মামলার প্রতিবাদ স্বতন্ত্র প্রার্থীর," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন অর রশিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী প্রচারে বাধা প্রদান, মিথ্যা মামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে বিনষ্ট করার জন্য একটি মহল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন-মারধর, পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এ ছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।এসব ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী অপরাধ অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন।উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে টাঙ্গাইল-৫ সদর উপজেলার যুগনী এলাকায় বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) বর্তমান সংসদ সদস্যের কর্মী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c3467cb0e, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, তামাশার নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ," সরকার ‘একতরফা তামাশার’ নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা এই অভিযোগ করেন।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে সরকার যে তামাশা করেছে, এরা যে প্রহসন করেছে সেই প্রহসন এবার ২০২৪ সালে মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে করতে চাচ্ছে। তাদের তামাশা দেশকে দুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। পুরো দেশের জন্য বিয়োগান্ত পরিণতি তারা ডেকে আনছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে আসবে। সেরকম একটি আশঙ্কা অনেকগুলো গণমাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে এই সংবাদ বেরিয়ে আসছে। মানুষ আজকে দুচিন্তার মধ্যে দিনরাত কাটাচ্ছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে দেশকে ওরা বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।’সরকারের উদ্দেশে সাইফুল হক বলেন, ‘এখনো সময় আছে সোজা পথে হাঁটেন। যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে বিদায় নিতে চান, এই তামাশার নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন। বাতিল করে কিভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। জনগণের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। নির্বাচনকালীন এই সংকট উত্তরণের পথটা এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায় নাই। সেই পথে না হাঁটলে মানুষ যেভাবে রাজপথে নেমেছে পরিণতি শুভ হবে না।’গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এবারে বলা হচ্ছিল নতুন একটা চমক আসবে। সেটা হচ্ছে, এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই বললেন, ‘‘ডামি প্রার্থী দাও”। ডামি দিয়ে উনি নির্বাচন করবেন। কারণ যাদেরকে ধরে-টরে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের এবং তাদের খোদ তথাকথিত সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিকেও সবাই উনার কাছে গিয়ে আগে সিট পাওয়ার নিশ্চয়তা চায় সবাই চায় আমরা এমপি হব।’তিনি আরও বলেন, ‘এখন উনি প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায় পাবেন? নিজেই আবিষ্কার করলেন, ডামি প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়ে উনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করবেন। কিন্তু সবসময় উনি যা চান তাই হবে এমন তো নয়। সেই কারণে আজকে একটু উভয় সংকটে পড়েছেন। কুল রাখি না শ্যাম রাখি উনার দলের শতশত প্রার্থী আছেন ডামি আর স্বতন্ত্র। এই ডামি-স্বতন্ত্ররা সকলে নৌকা। এখন নৌকা আর মনোনীত নৌকা সঙ্গে ধাক্কা-ধাক্কি করছে। ইতোমধ্যে মারামারি শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলো আরও কি হবে আমরা জানি না। অনেককে আশঙ্কা করছেন, মনোনীত নৌকা, ডামি নৌকা, স্বতন্ত্র নৌকা আর বিদ্রোহী নৌকা মিলে এমন এক তাণ্ডব ঘটবে এটা আর উনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’সাকি বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বরেরআগে এসব ডামি-স্বতন্ত্র-বিদ্রোহীরা নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। উনার একেক কায়দায় বাতিল করছেন, আর শেষ কায়দায় হুকুম দিয়ে বাতিল করাবেন। এ সব মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি আর না হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা নির্বাচন এই হচ্ছে শেখ হাসিনার উপহার। বাংলাদেশকে তারা এই জায়গায় নিয়ে এসেছে এটাই হচ্ছে তাদের উন্নয়ন। বাংলাদেশের মানুষ এই উন্নয়ন গ্রহণ করে না। এভাবে দমনপীড়ন করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে তারা আবারও ক্ষমতায় থাকতে নানা চক্রান্ত করছে। কিন্তু কাজ হবে না, জনগণ এবার রুখে দেবে।’সমাবেশের সভাপতি গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ডামি নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জনগণের আশাকে নয়-ছয় করে, জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে যে তথাকথিত ডামি নির্বাচন করছে তা আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ করতে দেব না।’সমাবেশে বক্তব্য দেন জেএসডির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনসহ আরও অনেকে।",Negative