source_link,newspaper_name,published_date,headline,short_description,sentiment https://www.bhorerkagoj.com/international/701007, ভোরের কাগজ,১২ জানুয়ারি ২০২৪,বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার বিবৃতি," বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। বিবৃতিতে, নির্বাচনকে বাইরে থেকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন। বিবৃতিটি ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস তার ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছে।বিবৃতিতে মারিয়া জাখারোভা বলেন, নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল দুঃখজনকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। তবে বাইরে থেকেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর এবং ১৫ ডিসেম্বর বিষয়টি উল্লেখ করেছি’।মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়াসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ওই নির্বাচনের বৈধতা ও গৃহীত মান পূরণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন রাশিয়ান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্য আন্দ্রেই শুতোভ।তিনি আরো বলেন, গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনা আগেও এই পদে ছিলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের চেয়ারম্যান মিখাইল মিশুস্টিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।এর আগে গত ২২ নভেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বিরূদ্ধে বাংলাদেশে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন—এমন অভিযোগও তুলেছিল রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা নাকচ করে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/todayspaper/701767, ভোরের কাগজ,২২ জানুয়ারি ২০২৪,কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচন ৯ মার্চ," কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হবে আগামী ৯ মার্চ।সোমবার (২২জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।তিনি বলেছেন, এ উপ-নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।গত ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত মেয়র হন। এর আগে টানা দুই মেয়াদে মেয়র ছিলেন বিএনপির নেতা মনিরুল হল সাক্কু। গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুর পর থেকেই অভিভাবকহীন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন হয়। ২০১৭ সালে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রায় তিন গুণ আয়তন বাড়ানো হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। এ সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national/701748, ভোরের কাগজ,২২ জানুয়ারি ২০২৪,সমালোচকরা বুঝে গেছে বাংলাদেশে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে," বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশ মন্তব্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমি মনে করি মন্তব্যকারীরা এখন বুঝে গেছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন সরকারের ‘গ্রেট ওয়াল কমোরেটিভ মেডেল’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ এই মেডেল হস্তান্তর করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা ও চীনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশ মন্তব্য করেছে। কিন্তু চায়না আমাদের বন্ধু। তারা সব সময় বলেছে এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। বাংলাদেশ সরকারই নির্বাচন করবে, আমাদের এখানে কোনো মন্তব্য নেই।‘অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন, আমি মনে করি তারা এখন বুঝে গেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো দেশ থেকে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, সেটা আপনারা জানেন। কাজেই আমরা মনে করি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছে আমাদের নির্বাচন কমিশন।’তিনি বলেন, চায়না আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন, এটা আরো দেওয়ার জন্য, এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। তারা বিবেচনা করেছেন, আমাদের আরো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন জানান মন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের পুলিশ মহাপরিদর্শক ইতোমধ্যে তালিকা তাদের হস্তান্তর করেছেন। আমার মনে হয়, তারা সেটি গ্রহণ করবে।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/international/701024, ভোরের কাগজ,১৩ জানুয়ারি ২০২৪,শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল সার্কসহ ৪ সংস্থা," স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক কমিশন, সার্ক এবং ইতালি-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সহযোগিতা সংস্থা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো পৃথক শুভেচ্ছা বার্তায় তারা সকলেই আগামী দিনে তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লোথিয়ান অঞ্চলের স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য এবং সংস্কৃতি, ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ফয়সল চৌধুরী শেখ হাসিনাকে লিখেছেন, “আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পঞ্চম বারের মত এবং টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য আপনাকে এবং আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকেও সাধুবাদ জানাই।ফয়সল চৌধুরী যোগ করেছেন, “গত নভেম্বরে স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ক্রস-পার্টি গ্রুপে আমার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে দলীয় গ্রুপ সফরে সময় দেখা করার জন্য সময় বের করার জন্য আমি আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাতে চাই।” তিনি বলেন, “আমি খুব আশা করি, আমি এবং স্কটিশ পার্লামেন্টের ক্রস-পার্টি গ্রুপের সদস্যরা আবার মহামান্য আপনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।” “আমি আবারো আপনাকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাই এবং নতুন মেয়াদে আপনার সাফল্য কামনা করছি। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের চেয়ারম্যান মিখাইল মায়াসনিকোভিচ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনে আপনার দৃঢ় বিজয় প্রজাতন্ত্রের জনগণের পুরনো সমর্থনের সুস্পষ্ট প্রমাণ।”তিনি ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত সহযোগিতার স্মারকসহ বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক কমিশনের মধ্যে আরো গভীর যোগাযোগের আশা করেন। মিখাইল মায়াসনিকোভিচ শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, মঙ্গল এবং সরকারি কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)। সার্ক মহাসচিব মো. গোলাম সারওয়ার এক অভিনন্দন বার্তায় লিখেছেন, “দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আপনার মহান বিজয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পুনঃনিযুক্তির জন্য মহামান্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি সম্মানিত। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চমবারের জন্য আপনার এই পুনঃনিযুক্তি বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা আপনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের বড় প্রমাণ।” মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গঠনমূলকভাবে অবদান রেখে আসছে।বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত তিনটি ঐতিহাসিক সার্ক শীর্ষ সম্মেলন সার্ক সনদের লক্ষ্য অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। অধিকন্তু, সার্ক কৃষি কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মান সংস্থা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘‘সার্ককে এর সনদের লক্ষ্য অর্জনে আরো শক্তিশালী করার জন্য মহামান্য আপনার এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অব্যাহত দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আমার পরিচায়ক সফরের সময় মহামান্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুখ হয়ে আছি যাতে এই অঞ্চলে আমাদের জনগণের সাধারণ কল্যাণের জন্য সার্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য আপনার প্রজ্ঞা এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপকৃত হতে পারি,” তিনি শেষ করেন।অপর এক চিঠিতে ইতালি-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সহযোগিতা সমিতি পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মার্কো লাকাররা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারিও মরগোনি এবং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার ডমেনিকো পালমিরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে বিজয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘‘আমরা ইতালি এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাব,” এবং “আমরা আপনার এবং আপনার দেশের মঙ্গল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।”",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d1c1cc88f, আমাদের সময়,১৮ জানুয়ারি ২০২৪,বিরোধী দলে যেতে নেতা নির্বাচন করল জাতীয় পার্টি," সংসদীয় দলের নেতা, উপনেতা ও হুইপ নির্বাচন করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপার সংসদীয় দলের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাপার সংসদীয় দলের নেতা জি এম কাদের, উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ নির্বাচিত করা হয়েছে।সভা শেষে মুজিবুল হক চুন্নু জানান, দশম ও একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদেও বিরোধী দল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে জাতীয় পার্টি। একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আজ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে স্পিকারকে জানানো হবে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে। অপরদিকে ৬২ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে নতুন সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় কে থাকবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ নেতা, উপনেতা ও চিফ হুইপ নির্বাচন করা হলো। যদিও স্বীকৃতির বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে।তবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসছে, এটা নিশ্চিত। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী অন্য কারও সংসদে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d1cf441a2, আমাদের সময়,১৮ জানুয়ারি ২০২৪,দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তুমুল প্রতিযোগিতামূলক ছিল: পরিকল্পনামন্ত্রী," পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো মিডিয়াতে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হয়নি। এটি তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল।’আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় উপলক্ষে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, ‘কর্তব্য ও নিষ্ঠার সহিত নিজ নিজ দপ্তরের কাজ পরিচালনা করবেন। পরিকল্পনা মাফিক কর্মপন্থার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ সম্পন্ন করবেন। আমরা জনগণের সরকার। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে।’তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ অবকাঠামো, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে মানোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কোনভাবেই চলবে না। সেটা নির্মূল করতে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের প্রয়োজন বুঝে সর্বদা সেবা দিতে হবে। জনগণের জন্য একটি স্বস্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পদের সুষ্ঠু ও সমবণ্টনে কাজ করতে হবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুন কৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার হাসান জিটু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েল প্রমুখ।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহানা নাজনীন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী শাহবো রহমান সজীব, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার শেখ সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোফাখখারুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, সহকারী প্রোগ্রামার মো. রাকিবুল হাসান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ফয়েজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে জয়ী হন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ন্যস্ত হন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d1dbc49462, আমাদের সময়,১৯ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল," পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আবদুস সালাম বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো মিডিয়াতে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হয়নি। এটি তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, কর্তব্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ নিজ দপ্তরের কাজ পরিচালনা করবেন। আমরা জনগণের সরকার। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে মানোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কোনোভাবেই চলবে না। সেটা নির্মূল করতে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে থাকতে হবে জবাবদিহিতা। জনগণের প্রয়োজন বুঝে সেবা দিতে হবে সর্বদা। পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পদের সুষ্ঠু ও সমবণ্টনে কাজ করতে হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d11eb6324, আমাদের সময়,১৬ জানুয়ারি ২০২৪,রোজার আগেই শুরু হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন," আসন্ন রোজার আগেই প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘উপজেলার তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। কীভাবে করবে, ধাপে ধাপে নাকি একবারে করবে, এভাবে যদি সিদ্ধান্ত দেয়- ইসি সচিবালয় প্রস্তুত আছে। রোজা শুরু হওয়ার আগে হয়তো হতে পারে।’ইসির এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫টি, এরকম তালিকা পেয়েছি। ইনফ্যাক্ট সবই তো নির্বাচনযোগ্য, কারণ ২০১৮ সালের মার্চের দিকে নির্বাচন হয়েছিল।’তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা, রোজাসহ সবকিছু বিবেচনা করব। আমাদের দেশে রোজায় নির্বাচন কম হওয়ার প্র্যাকটিস আছে। সেক্ষেত্রে হয়তো রোজার আগে হতে পারে, পরবর্তী ধাপ ঈদের পরে হতে পারে।’উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে পারে। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d13ae35a64, আমাদের সময়,১৭ জানুয়ারি ২০২৪,৪৫২ উপজেলা নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু ," দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫২টি উপজেলার নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকিগুলোর কিছু হবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে, আর কিছু হবে ২০২৭ ও ২০২৮ সালে। আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এই হিসাবে ৪৫২ উপজেলার নির্বাচনের সময় গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এবারও কয়েক ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোজার আগেই প্রথমধাপের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। অন্য ধাপের ভোট হবে ঈদের পর। ৪৮৫টি নির্বাচনযোগ্য উপজেলার তালিকা পেয়েছি। সব উপজেলাই নির্বাচনযোগ্য। কমিশন সচিবালয়ও প্রস্তুত। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা ও রোজার বিষয়টি বিবেচনা করব।জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন উপযোগী উপজেলাগুলোর তথ্য জানাতে বলেছিল। সেই নির্দেশনার আলোকে ইসিকে একটি তালিকা পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত ৪৫২টি উপজেলার এবং বাকি ৪৩টির মধ্যে বেশকিছু উপজেলার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৭ জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। অন্যগুলোয় ২০২০ সালে, ২০২২ ও ২০২৩ সালেও প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় সীমানা জটিলতায় মামলার কারণে ২০০৯ সালে নির্বাচন আটকে গেছে। সে সময় চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন সম্ভব হয়নি। কক্সবাজারের ঈদগাঁও নবগঠিত হওয়ায় আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮২টি, ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ১২৩টি, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ১২২টি, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১০৬টি এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে ২২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d1743987f, আমাদের সময়,১৭ জানুয়ারি ২০২৪,এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন: কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। এ দেশে ভালো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এই নির্বাচনে আমরা দেখলাম সরকারি দলের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ও কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।’আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বহু দেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে, এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে, তারা অনেক কথা বলেছে।’নির্বাচন পাতানো ছিল- টিআইবির এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পাতানো ছিল না। নামিদামি দেশ পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানাল কেন? যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন সরকারকে।’তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধীদলের নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেক কথাই বলবে।’বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেল? জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে। অনেক দেশ পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, এ ছাড়া এ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার নেই। ভালো নির্বাচন হয়েছে, সে প্রশংসা আসছে। কেবল তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখন বলছে সংসদ অবৈধ।’তিনি বলেন, ‘সংবিধানের নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার যেদিন গঠিত হয়েছে তার পেছনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- সাংবিধানিক এ বিধানেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মানুষ নেই। তাই নির্বাচনে আসলে হেরে যাবে। এই চরম হতাশগ্রস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে বিএনপি। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই সেই দল কীভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দেবে। এই বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছিল। এই বিএনপি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নেতা বানিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তকে ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের অফিসে তালা মেরে বলে সরকার তাদের অফিসে তালা লাগিয়েছে। আবার তাদের অফিসের তালা তারাই ভেঙেছে। তারা অফিসে তালা লাগাতে পারে, আবার ভাঙতেও পারে। সংবিধান ভাঙা, বিএনপির অফিসের তালা ভাঙার মতো না।’এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d11bbf78f, আমাদের সময়,১৬ জানুয়ারি ২০২৪,সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল ," দেশে সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হয়েছে এবং সে অনুযায়ীই সংসদ সদস্যদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হয় আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য। সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হয়েছে এবং সংবিধান অনুযায়ীই সংসদ সদস্যদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তবে শপথ গ্রহণ হলেও একাদশ সংসদের মেয়াদ যেহেতু ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে, তাই ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংসদে বসতে পারবেন। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভ্রান্ত ধারণা থেকেই, যেটা সঠিক নয়।’এর আগে আজ সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষের আগেই আবার ৩০০ জন শপথ নিয়েছেন। এখন কি তাহলে দেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন?’তিনি বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে এটি কোন নির্বাচনই হয়নি। ২ শতাংশ ভোট দিয়েছে, ৯৮ শতাংশ এটা বর্জন করেছে। সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। নির্বাচন কমিশনকে পোষা একটা সংগঠনের মতো ব্যবহার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে ওই পরাজিত আওয়ামী লীগ নেতারা, স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বলছে কীভাবে ভোট কারচুপি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কি অন্ধ? তারা অন্ধ হয়ে বসে আছে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের চোখ নাই। তারা কানে কম শোনে, চোখেও কম দেখে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c544be0d4, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচন নিয়ে আবারও অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত," বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ভারত। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলগুলো অংশ না নেওয়ায় এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ভারতের মতামত কী?জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা ধারবাহিকভাবে বলে আসছি যে, বাংলাদেশে নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আমরা এই অবস্থানেই আছি। সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন আমার পূর্বসূরি ভালোভাবে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। তাই আমি এখানেই বিষয়টি শেষ করছি।’আরেক সাংবাদিক প্রশ্নে করেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের তিনজন সদস্য ইতিমধ্যে ঢাকা পৌঁছেছেন। যাওয়ার আগে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী তাদের কোনো ব্রিফ করেছে বা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আপনার কী আলোচনা হয়েছে?জবাবে জয়সোয়াল জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে কিছু জানানো হয়নি। এখানে কী কথা হয়েছে সে বিষয়েও তিনি অবগত নন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d2d2e75252 , আমাদের সময়,২২ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচন নিয়ে কথা বলে আর লাভ নেই," মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে অংশ নিয়ে জনগণই নির্ধারণ করে দিয়েছে যে এটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে আর কোনো কথা বলে কেউ হয়তো মানসিক শান্তি পেতে পারে, এ ছাড়া আর কোনো লাভ নেই।গতকাল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, তাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলে আর কোনো লাভ নেই। বিরোধী দল প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে ছিল, এখনো তারাই বিরোধী দলে আছে। আশা করছি বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d2d39fb9614, আমাদের সময়,২২ জানুয়ারি ২০২৪,ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ৯ মার্চ ।। ভোট হবে ইভিএমে," ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সেখানে ভোট নেওয়া হবে। গতকাল রবিবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনে ইতোমধ্যে ফাইল অনুমোদন হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করা হবে।এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।২০১৯ সালের ৫ মে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ময়মনসিংহ সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ সিটিতে প্রথম সিটি ভোটে মোট ১২৭টি কেন্দ্র ছিল। প্রথম ভোটে নগরবাসী ইভিএমে ভোট দেন। এবারও সেখানে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বয়ড়া ও আকুয়া ইউনিয়নের পুরোটা এবং খাগডহর, চর ঈশ্বরদিয়া, দাপুনিয়া, ভাবখালী, সিরতা ও চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সিটি করপোরেশনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়। সিটি করপোরেশনটির আয়তন ৯১.৩১৫ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d306bbc6c, আমাদের সময়,২২ জানুয়ারি ২০২৪,বিরূপ মন্তব্যকারীরা বুঝে গেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী," গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অনেক দেশ বিরূপ মন্তব্য করলেও পরে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টি তারা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চীন সরকারের ‘গ্রেট ওয়াল কমোরেটিভ মেডেল’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘গ্রেট ওয়াল কমেমোরেটিভ মেডেল’ তুলে দেন।আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘অনেক দেশ নির্বাচন নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমাদের বন্ধু চায়না সরকার সবসময় বলেছে নির্বাচনটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। বাংলাদেশই সিদ্ধান্ত নেবে, তারাই নির্বাচন পরিচালনা করবে।’তিনি বলেন, ‘অনেক বিরূপ মন্তব্য অনেকে করেছেন, আমি মনে করি তারা এখন বুঝে গেছেন সুন্দর ইলেকশন বাংলাদেশে হয়েছে, আন্ডার দ্য লিডারশিপ অব আওয়ার প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা এবং আমাদের নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।’এখন পর্যন্ত কোনো দেশ থেকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমরা মনে করি একটি সুন্দর ইলেকশন জাতিকে উপহার দিয়েছে আমাদের নির্বাচন কমিশন। বিদেশ এবং আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এটা আরও শক্তিশালী হবে। আপনারা দেখেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত তাদের সাপোর্টটা কীভাবে আমাদের দিয়ে গেছেন।’চীনের কাছে কী ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে উদ্বিগ্ন আছি। আমরা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, আন্তর্জাতিক ক্রাইম- এ সমস্ত ক্রাইম যাতে প্রতিরোধ করতে পারি, সেগুলোর জন্য আমরা সবসময় সহযোগিতা চাচ্ছি।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবসময় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। এটা আরও দেওয়ার জন্য এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। তারা কনসিডার করেছেন যে, তারা আমাদের আরও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d1dbd0e9c7, আমাদের সময়,১৯ জানুয়ারি ২০২৪,নির্বাচনী লড়াইয়ে দুই প্যানেল," জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ২৯ জানুয়ারি। ইতোমধ্যেই আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ও আওয়ামীপন্থিদের একাংশ, প্রগতিশীল ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সমন্বয়ে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালি জানান, ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সর্বশেষ দিন ছিল ১৬ জানুয়ারি। ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে বিকাল চারটায় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ক্লাবে সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এতে সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সম্পাদক ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ১০ জনসহ মোট ১৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আইআইটির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার। এই প্যানেলে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রসায়নের অধ্যাপক শাহেদ রানা। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ইংরেজির অধ্যাপক লাইজু নাসরিন ও যুগ্ম সম্পাদক পদে পরিবেশ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক মো. এজহারুল ইসলাম ও নির্বাহী সদস্য পদে সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক, অধ্যাপক কে. এম. খাইরুল আলম, অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গনি, অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক রেজওয়ানা আবেদীন, সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রনি, অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত বণিক।অপরদিকে শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আইবিএর অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন ও সম্পাদক পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞানের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞানের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক পদে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ পদে পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে অধ্যাপক আইরীন আখতার, সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম, অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, অধ্যাপক মো. লুৎফুল এলাহী, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন (রুনু) ও অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১টি পদে জয়লাভ করে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ। অন্যদিকে সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ বাকি চার পদে জয়লাভ করে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d209af719, আমাদের সময়,১৯ জানুয়ারি ২০২৪," ‘শুধু টিআইবি নয়, সবাই বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’"," শুধু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি গণতান্ত্রিক বিশ্বের সব দেশ বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশের পর আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের মন্ত্রীরা বলেছে- টিআইবি বিএনপির হয়ে কাজ করছে- এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. মঈন খান বলেন, ‘শুধু টিআইবি কেন, কে বলেনি? বিএনপির কথা কে রিপিট করেনি? বিএনপি সত্যি বলেছে, তা তারা প্রমাণ করেছে।’ড. আবদুল মঈন খানের বক্তব্যের সঙ্গে যোগ করে স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সবাই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। টিআইবি যা বলেছে, তা জনমতের প্রতিফলন; বিএনপি যা বলেছে তাও জনমতের প্রতিফলন।’নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমানুষের কথা যে বলবে- আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমরা যা বলি তা গুরুত্বপূর্ণ; জনগণ যা বলে তা গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ এই সরকারকে পছন্দ করে না। আমাদের নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। জনগণ সরকারের এই অন্যায়কে পছন্দ করে না।’অপর প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যে আদর্শে দেশকে স্বাধীন করেছেন, দেশকে পুনর্গঠন করেছেন, দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সূচনা করেছেন- সেটা আজ ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে; সেখান থেকে দেশকে রক্ষা করা, তিনি যে গণতন্ত্র পুনঃ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা আবারও মেরে ফেলা হয়েছে। সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করার লড়াই চলছে। এরশাদের সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকেও আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আছি। আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবোই।’ এর সঙ্গে যুক্ত করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার শুধু মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়নি; এখানে আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সরকারের রাজকোষ শূন্য হয়ে গেছে। তারা পাগল হয়ে গেছে। কিভাবে তারা মানুষের পকেট কেটে অর্থসংগ্রহ করবে। দিন দিন তারা ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়াচ্ছে।’এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা হাবিব, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, রবিউল ইসলাম রবি, আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d230b484d7, আমাদের সময়,২০ জানুয়ারি ২০২৪, সংসদ মডেলে উপজেলা নির্বাচনের চিন্তা," বিএনপি আসবে না ধরে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিতে পারে দলটি। তবে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে; সিদ্ধান্ত হবে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পরের বৈঠকে।আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দ্বন্দ্ব ব্যাপক আকার ধারণ করে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিলে এই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপক হতে পারে। আবার বিএনপির ভোটে আসার সম্ভাবনাও নেই। ফলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে দলের প্রতীক ছাড়াই ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।আওয়ামী লীগের অনেকেই আবার মনে করেন, উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের ‘মডেলে’ হতে পারে। অর্থাৎ দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দল অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়া যেতে পারে।আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, নানা রকমের আলোচনা চলছে। তবে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে, সিদ্ধান্তের পর্যায়ে যায়নি। কিছুদিনের মধ্যেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।২০১৫ সালের নভেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনসংক্রান্ত পাঁচটি আইন সংশোধন হয়। এতে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রাখা হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ নির্বাচনে বেশ কয়েকটি উপজেলায় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখে আওয়ামী লীগ। বাকি উপজেলাগুলোতে ছিল দলের প্রার্থী। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়া অনেক উপজেলায় ঘটে হতাহতের ঘটনা।গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় পাঁচ ধাপে। শপথও হয় পাঁচ ধাপে। ফলে উপজেলাগুলোর মেয়াদও কয়েক ধাপে শেষ হবে। আর সে অনুযায়ী ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় গণনা হবে। জানা গেছে, এবারও ধাপে ধাপে ভোট হবে। সে অনুযায়ী চলতি মাসেই প্রথম ধাপে শখানেক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ভোট হতে পারে রোজার আগেই, আগামী মার্চে।উপজেলা নির্বাচন নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি যৌথসভা করে আওয়ামী লীগ। সভাসূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে তফসিলের আগে বা পরে গণভবনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ডেকে এনে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা চূড়ান্ত বার্তা দেবেন। পরে ধাপে ধাপে ৮ বিভাগে সাংগঠনিক সফরে যাবেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। উপজেলা নির্বাচনের আগেই জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা করা হবে। যৌথ সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রস্তাব করেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। সভায় উপস্থিত অনেকেই তার প্রস্তাবে সমর্থন জানান।এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের সময়কে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার বিষয়টি এখনো আলোচনা পর্যায়ে আছে; চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু গত নির্বাচনে কয়েকটি উপজেলায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল, তাই এবার সারাদেশে করলে আইনি বা দলগত সমস্যা থাকার কথা নয়।’স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের আরেক সদস্য আমাদের সময়কে বলেন, ‘দলের প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি দল অনুমোদিত স্বতন্ত্র রাখা যেতে পারে। যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই মডেল সফল হয়েছে, তাই উপজেলাতেও এই রীতি অনুসরণ করা যেতে পারে।’এই নেতার ভাষ্য, ‘প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করা হয়। তাই দলীয় প্রতীকে প্রার্থী রাখার পাশাপাশি দল অনুমোদিত প্রার্থী রাখলে দুই কূলই রক্ষা হয়।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d28043eba1, আমাদের সময়,২১ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ নির্বাচন ও ভবিষ্যতের রাজনীতি," ৭ জানুয়ারি ২০২৪-এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বহু নাটকীয়তা আর তর্ক-বিতর্ক, বিদেশের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর হুমকি-ধমকির মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যত রকমের বাধাবিপত্তি থাকুক না কেন অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে যত বিরোধিতাই হোক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে নির্বাচন প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। যেমন সম্ভব হয়নি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অন্যান্য বড় দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন ঠেকানো যায়নি। মাত্র ২১% ভোটার ভোট দিয়েছিল। যদিও অল্প কয়েকটি দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সংসদে কথিত দুটি দলই ছিল। এর পরে ২০১৪ সালেও বৃহত্তর বিরোধী দলগুলো বিরোধিতা করলেও নির্বাচন ঠেকানো যায়নি।নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ৭ জানুয়ারি ২০২৪। যদিও বৃহৎ ও ক্ষুদ্র দলগুলো প্রায় ৪ বছর ক্রমান্বয়ে জোরালো আন্দোলন করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি বরং বৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছে এবং অন্যদিকে হাজার হাজার কর্মী পলাতক রয়েছে। সরকারি ও তাদের কথিত অনুযোগীরা এক প্রকার নির্বিঘ্নে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে সরকার গঠন করে ফেলেছে। তবে এবার শুধু পার্শ্ববর্তী দেশের আকাক্সক্ষাই নয় বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি-ধমকিও ছিল প্রাণিধানযোগ্য। অনেক ধরনের শঙ্কা সত্ত্বেও পরিপূর্ণ রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। একটানা ১৫ বছর কাটিয়ে ২০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। যেহেতু বিশ্বের তিনটি বৃহৎ শক্তি প্রথম হতেই এই সরকারের বিগত দুই নির্বাচন- ২০১৪ ও ২০১৮ কে সর্বতো ত্বরিত স্বীকৃতিতে দেরি করেনি এবারও অনেক সমস্যাসংকুল নির্বাচন হলেও পূর্বতন ধারা বজায় রেখেছে।এবারের নির্বাচন ২০১৪, যাকে ভোটারবিহীন নির্বাচন বলা হয় কারণ ৩০০ আসনের ১৫৩টি আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। বিশে^র গবেষকরা এই নির্বাচনকে ব্যর্থ আখ্যায়িত করলেও সরকার পূর্ণ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করেছে। ওই নির্বাচন বিরোধীরা কথিত সহিংস আন্দোলনের মধ্য প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেনি। অবশ্য ওই নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি তা এখন সরেজমিনে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। ওই নির্বাচন হয়েছে দিনে-রাতের মিশ্রণে যা এখন সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মুখেও চর্চিত। অবশ্য এবারের নির্বাচন ও প্রধান বিরোধী দল এবং সমমনা দল বিবর্জিত তাই এবার নির্বাচনের ভিন্ন আঙ্গিক প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। এবারের নির্বাচনের ধরন (মডেল) আগের দুটির ধারেকাছেও নেই। প্রচুর নতুনত্বের মধ্যে বাংলাদেশে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, যা মোটামুটি একদলীয়ই বলা যায়।এবার বিরোধী দলসহ বহু দল, বলতে গেলে ২৬টির কাছাকাছি নিবন্ধিত এবং প্রায় সমসংখ্যক অনিবন্ধিত নতুন অথচ ইতোমধ্যেই বেশ পরিচিত হয়ে ওঠা দলগুলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বৃহত্তর বিরোধীদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়েছিল। তথাপি সরকার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন বন্ধ, পেছানো অথবা বিরোধী দলকে ন্যূনতম ছাড় না দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বলতেই হবে অনেকটা নির্বিঘ্নে, ২০১৪ সালের মতো তেমন পরিস্থিতি হয়নি।অবশ্য এবারের নির্বাচন, নির্বাচনপরবর্তী পরিবেশ এবং এ নির্বাচনের মডেলের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কিছু বিষয় আলোচনার দাবি রাখে। প্রথমত এই নির্বাচনটি বলা যেতে পারে একপাক্ষিক, যদিও কাগজে-কলমে ২৮টি নিবিন্ধত দল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি দৃশ্যত ফরমায়েশি দলও রয়েছে, অংশগ্রহণ করে। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিই প্রধান। যদিও জাতীয় পার্টিও প্রায় বিলুপ্তির পথে, আর কোনো দলকে ধর্তব্যের মধ্যে নেওয়া যায়নি। আর ছোট তিনটি দল যেগুলো এত দিন চর্চার মধ্যে ছিল সেগুলোও হয়তো বিলুপ্তির আবর্তে পড়েছে। এর মধ্যে সাম্যবাদী দল, বহু বছর ধরেই মাঠে নেই এবং ওয়ার্কার্স পার্টি যদিও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তাদের প্রতীক নিয়ে নিভু নিভু অবস্থায় ছিল। এবারের নির্বাচনে তার অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। সরকারি দলের প্রতীক নিয়েও বিলুপ্তির পথে তেমনি। বহুল চর্চিত জাসদ এবং এর প্রধান প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ভরাডুবির পর অস্তিত্ব সংকটে। আগামীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খুঁজেও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। একমাত্র জাতীয় পার্টি, হাবুডুবু খাবার পথে, ছাড়া এবার অংশগ্রহণকারী আর কোনো পুরাতন দলের অস্তিত্ব নেই যদিও বিগত পনেরো বছর বিরোধী জোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী কল্যাণ পার্টিপ্রধানের উপস্থিতি। এই নির্বাচন বোধকরি একটি বৈচিত্র্যময় বহুদলীয় ব্যবস্থায় একটি নির্বাচন, অনেকটাই একদলীয় আদলে নির্বাচন, কারণ যেসব সাক্ষীগোপালের মতো পার্টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের সাকল্যে প্রদত্ত ভোটের এক শতাংশ পেয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। হয়তো পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান বের হলে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। তবে অতীতেও, বিশেষ করে ২০১৮র নির্বাচনেও এরূপ চিত্র পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে, যাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বলা যায়, সেখানে ৩৯ দল অংশগ্রহণ করলেও তিনটি দল ৫ শতাংশের উপরে, দুটি ২ শতাংশের নিচে এবং বাকি দলগুলো ১ শতাংশের নিচে ভোট পেয়েছিল। সেসব দলকে জনগণ মনে রেখেছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।২০২৪ সালে বহু বাদ-বিবাদের মধ্যের নির্বাচনের পদ্ধতি ভিন্নতর হলেও দলীয় হিসাব প্রায় একই প্রকার। এবার সরকারি দল ২০১৪-এর অভিজ্ঞতা ঠেকাতে দলীয় নির্ধারিত প্রার্থীর বাইরে দলের বিধিনিষেধ শিথিল করে অংশগ্রহণ উন্মুক্ত করে স্বতন্ত্র এবং কথিত ডামি (যার বাংলা প্রতিরূপ নকল) হিসেবে। সাথে সামান্য পরিচিত ও অপরিচিত কথিত ২৬টি দল (আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাদে)। মোট প্রার্থী ছিল ১৯৬৯। এই সংখ্যাটিকে দেখানো হয়েছিল অংশগ্রহণমূলক চিত্র তুলে ধরতে। এর মধ্যে প্রায় ১২৫ জন জাতীয় পার্টি, যারা সরকারি দলের আশ্বস্ত ২৬টি আসনের বাইরে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ায়। এ সংখ্যাসহ ১৪৪১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা মনে হয় এ যাবৎ একটি রেকর্ড। এর মানে ৭৩ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মোতাবেক ২৮টি দলের মধ্যে ২১টি দলের সব প্রার্থীই জামানত হারিয়েছে। এটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড।এরই প্রেক্ষিতে একক দলের নির্বাচন, অন্তত ফলাফলে তাই বলে, হিসাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। প্রাপ্ত ফলাফলে সরকারি দল আওয়ামী লীগ দলের প্রতীকপ্রাপ্ত, বলা যায় দলীয় প্রার্থীদের আসনের মধ্যে ২২৫টি আসন এবং একই দলের কথিত স্বতন্ত্র এবং ডামি প্রার্থীদের ৬১, জাতীয় পার্টি, যদিও ২৬টি আসন সরকারি দল দিয়েছিল, পেয়েছে ১১টি এবং কল্যাণ পার্টি ১টি বাকি দুটি সিটের নির্বাচন স্থগিত। পরে অনুষ্ঠিত হবে।উপরের তথ্য হতে পরিষ্কার যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনটি দল, যদি না কল্যাণ পার্টির এক প্রার্থী কোনো দলে যোগ না দেয়, দেখা যাবে তারা সবাই সরকারি দলের অনুকম্পাধীন। বাদবাকি স্বতন্ত্র ৬১ প্রার্থীর প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি দলের সদস্য, যদি না তাদের সদস্যপদ কোনো পর্যায়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী বাতিল না হয়। যদিও সম্ভাবনা কম, সেক্ষেত্রে এদের আর দুটি দলের কোনো একটিতে যুক্ত হতে হবে আথবা অভিভাবকহীন স্বতন্ত্র থাকতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কথিত স্বতন্ত্রদের কেউই দলের বাইরে যেতে চাইবে না। কারণ এমন সদস্যদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির যে মৃত্যু হয় তার অঢেল দৃষ্টান্ত রয়েছে।এ বিশ্লেষণের পর যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে সেটা হলো অন্তত একটি আদল দেওয়ার জন্য ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল কারা হবে? তবে একটা অভিনব বিরোধী দল দেখা যাবে মনে হয়। যদি জাতীয় পার্টি ১১ জন সদস্য নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, প্রায়োগিক প্রচলন যাই থাকুক, তা হলে বাকি ৬১+১এর ভূমিকা কী হবে? হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর কয়েক দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। তবে এবারের সংসদ একটি ব্যতিক্রমধর্মী হতে যাচ্ছে।এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বেই বলেছিলাম যে, শুধু ভোটার দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। গণতান্ত্রিক বিশ্বে তেমনই হয়েছে। ভোটের শতাংশ নিয়েও যথেষ্ট বির্তক রয়েছে, ২৮ না ৪২% শতাংশ- এই বিতর্কের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ যাবৎকালের সবচাইতে কম ভোটারের উপস্থিতির কথা বলছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও এমনই নথিভুক্ত হয়েছে।এ নির্বাচনের পরবর্তী জের বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক প্রশ্ন রেখে যাবে। আওয়ামী লীগের মতো বড় ও প্রাচীন দলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর যে বিভক্তি দেখা গিয়েছে দলের মধ্যে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। জাতীয় পার্টি, যাকে তৃতীয় বৃহত্তর পার্টি হিসেবে গণ্য করা হতো, অস্তিত্ব বিলীনের পথে দলের মধ্যে বিভক্তি আসন্ন। যেমনটা সত্তরের দশকে জাসদ-এর হয়েছিল। আগামীতে জাতীয় পার্টি ধর্তব্যের মধ্যে থাকবে বলে মনে হয় না।অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবারও নির্বাচনে না আসবার সিদ্ধান্ত, অবশ্য ২৮ অক্টোবরে সন্ত্রাসী ঘটনা না হলে গতিপ্রকৃতি কী হতো তা ধোঁয়াশাই রইল, সত্ত্বেও বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়েনি। অপরদিকে বিগত বছরগুলোতে ইসলামিক আন্দোলন, যারাও নির্বাচনে বাইরে রয়েছে। যথেষ্ট রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয় করেছে। বাড়িয়েছে নিজেদের ভোটব্যাংক। এবারই প্রথম বাংলাদেশের প্রাচীন বাম দলগুলো এই নির্বাচনের বাইরে থেকেছে। তার সাথে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন দল নিজেদের জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকটি পুরাতন দল যেমন এলডিপি ও জাসদ-এর একাংশ বাইরে রয়েছে। কাজেই আগামী সময়ে সরকারবিরোধীরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন কতখানি সরগরম রাখবে তা দেখবার বিষয় হবে।এ নির্বাচনের আরেকটি ফল মনে করা হয় যে অনেক পরিচিত নেতার, সরকারি দলসহ এমন নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের শেষ অধ্যায় হতে পারে।যাই হোক, বিশ্লেষণটি সংক্ষিপ্ত। তবে দেশের এই নির্বাচনসহ বাকি দুটো নির্বাচন ২০১৪-২০১৮তে গবেষণার প্রচুর তথ্যউপাত্ত পাওয়া যাবে।সরকারের সামনে অর্থনৈতিক, সুশাসন, ব্যাপক দুর্নীতি ও ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সাথে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হবে জটিলতম বিষয়।ড. এম সাখাওয়াত হোসেন : সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d031c8669, আমাদের সময়,১৩ জানুয়ারি ২০২৪," আরইউজের নির্বাচনে সভাপতি রফিকুল, সম্পাদক রকি"," রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সময় টিভির ব্যুরো প্রধান সাইফুর রহমান রকি। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আজকের পত্রিকার রিমন রহমান ও দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলার আমজাদ হোসেন শিমুল নির্বাচিত হয়েছেন।আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আরইউজে কার্যালয়ে এই চারটি পদে ভোটগ্রহণ করা হয়।এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮১ জন। এর মধ্যে ৮০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বেলা ৩টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। এরপর গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়।এর আগে সহসভাপতি পদে দৈনিক সোনালী সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটোসাংবাদিক সালাহ উদ্দিন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।ফল ঘোষণার পর আরইউজের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জমান লিটন। এ ছাড়া রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা আরইউজে কার্যালয়ে এসে নবনির্বাচিত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cf27e483b, আমাদের সময়,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘বাংলাদেশের সেরা নির্বাচনের একটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ ," বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচনগুলোর মধ্যে একটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনকালে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সেরা নির্বাচনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ নির্বাচন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষকরাও তা জানিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে। যত ষড়যন্ত্রই আসুক, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন চলমান রয়েছে, শিক্ষা ও গবেষণা ভালোভাবে চলছে। আমি সকলের সহযোগিতা চাই, সবাই মিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আমিও তো এখানে থাকব না, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে, তবে সবকিছুর ধারাবাহিকতা চলবে, উন্নয়ন কর্মকান্ডে যেনো ছেদ না পড়ে। আমাদের কোন ভুল ত্রুটি হলে আপনারা এসে বলবেন, আমরা সংশোধন করে নিব। এখানে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, কেউ কোন সমালোচনার উর্ধ্বে না, সমালোচনা অবশ্যই করবেন, তবে তা গঠনমূলক হতে হবে। মিথ্যার আশ্রয় কেউ নিয়েন না, সত্যি কথা সামনাসামনি এসে বলেন, আমরা তা সংশোধন করে নিব। এখন আমাদের যত উন্নয়ন কর্মকান্ড রয়েছে, তা দৃশ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এবং এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, শাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ced2ab017, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, দু-চারটি দল নির্বাচনে না এলে কিছু হয় না: প্রধানমন্ত্রী," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে, দু-চারটি দল নির্বাচনে না এলে কিছু হয় না।’আজ মঙ্গলবার টানা চতু্র্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই একটা সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যে হতে পারে আমরা তা প্রমাণ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোনো মাস্টার নেই, জনগণই আমাদের মাস্টার। জনগণই আমাদের শক্তি।’সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে অনেকে জিতেছেন, অনেকে হেরেছেন। খেলাতেও হারজিত থাকে। নির্বাচনেও থাকে। এখন এসব ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে সুন্দর, সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে ৭ জানুয়ারি।’শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। মুরুব্বিদের পরামর্শে চললে বাংলাদেশের আর চলা লাগবে না। এটাই হলো বাস্তবতা। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটা ভালো কথা। নির্বাচন হতে দেবে না, এসব হুমকি-ধামকি গেল কোথায়?’তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবার নির্বাচন হতেই দেবে না। তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের কিছু মুরুব্বি আছে তারাও সেই পরামর্শ দেয়। এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে নির্বাচন না হয় কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে তারা চিনে নাই। ’৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের মানুষ এটাই প্রমাণ করেছে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কিছু যায়-আসেনি। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ced227af7, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই একটা সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যে হতে পারে আমরা তা প্রমাণ করেছি।’আজ মঙ্গলবার টানা চতু্র্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে, দু’চারটা দল নির্বাচনে না এলে কিছু হয় না।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোনো মাস্টার নেই, জনগণই আমাদের মাস্টার। জনগণই আমাদের শক্তি।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অনেকে জিতেছেন, অনেকে হেরেছেন। খেলাতেও হারজিত থাকে। নির্বাচনেও থাকে। এখন এসব ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cea4aca892, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের নির্বাচন যেখানে ব্যতিক্রমী," কিছু বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে অনেক শঙ্কা ছিল। বিএনপি ও তার মিত্রদের ভোট-বিরোধিতা, হরতাল, নির্বাচনের দুদিন আগে রাজধানীতে ট্রেনে আগুন ধরিয়ে মানুষ হত্যা, বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর তীব্র বৈরিতা ইত্যাদি ঘটনার মুখে যে নির্বাচন হলো তাকে স্বস্তিকরই বলা যায়।আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানে বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ। এই দুই দলের একটির অনুপস্থিতি অর্থ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ‘নাই’ হয়ে যাওয়া। তবে এবার বিএনপিবিহীন নির্বাচনেও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ। নৌকা প্রতীকের বাইরেও এবার বেশিরভাগ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাতে করে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে জিততে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে। অনেক স্থানে তো তীব্র রেষারেষি-জেদাজেদির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এতে করে নির্বাচনের মাঠ এবার গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় ছিল সরগরম।এবারের নির্বাচনটি নানা কারণে ব্যতিক্রম। আগের দুটি নির্বাচন থেকে অনেকটা ভিন্ন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দল বর্জন করেছিল। ওই নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতেই ভোটের প্রয়োজন হয়নি। বাকি আসনে নির্বাচন হলেও ছিল না তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অনেকটা নিয়ম রক্ষার জন্য নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু ওই নির্বাচনে দিনের ভোট ‘রাতে হয়ে যাওয়ার’ মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরকার ৫ বছর পূর্ণ করে আরেকটি নির্বাচন আয়োজন করেছে।এবারের নির্বাচনে অবশ্য একজন প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি। এ ছাড়া নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে সরকারি দল নজিরবিহীনভাবে নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারি দল জোটসঙ্গী শরিক দল ও মিত্র দলের প্রার্থীদের জন্য আসন সমঝোতা করেছে। যেসব দল ও জোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ছাড় দেওয়া আসন থেকে। নিজ দলের প্রার্থী আর ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।এবারের নির্বাচনে প্রথমদিকে ভোট ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত হরতাল ডাকলেও ঠেকানোর ঘোষণা থেকে সরে এসে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। তবে গত দুই মাসের হরতাল-অবরোধের মধ্যে অনেক যানবাহন পোড়ানোর পাশাপাশি অন্তত চারবার ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দুদিন আগেও ঢাকায় আগুন দেওয়া হয় একটি ট্রেনে, যাতে নিহত হন চারজন। বিক্ষিপ্তভাবে অন্তত ১০টি ভোটকেন্দ্রও পোড়ানো হয়েছে সারাদেশে। গত নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার পরও বিরোধী দল হয়েছিল জাতীয় পার্টি। বিএনপি মাত্র ছয়টি আসন পেয়েছিল। যদিও বিএনপি সেই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে। কিন্তু কারচুপির অভিযোগ করলেও বিএনপির ছয়জন সদস্য প্রায় পুরো পাঁচ বছরই সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নারী কোটায়ও একজন সংসদ সদস্য সংসদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন।এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের ভোট বর্জনের চেয়েও আলোচিত বিষয় ছিল বিদেশিদের ভূমিকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারের মতো বিদেশি চাপ অতীতে আর কখনো দেখা যায়নি। পশ্চিমা দেশগুলো নানাভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র তো এমন নীতিই নিয়েছে যে, বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের তারা ভিসা দেবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরিই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়ত্ োতাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।বৈশ্বিক রাজনীতিতে তিন পরাশক্তি চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর দক্ষিণ এশিয়ার বড় দেশ ভারতের প্রভাবের বিষয়টিও এবারের নির্বাচনে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। বাংলাদেশ নিয়ে ওয়াশিংটন-মস্কোর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দেখা গেছে। তবে নির্বাচনের পর বিদেশিদের হস্তক্ষেপের চেষ্টা আরও বাড়বে বলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা এই শঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তৈরি পোশাক খাত এবং রপ্তানি বাণিজ্যের অনেকাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর নির্ভর থাকায় তারা যদি কোনো অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তা বাংলাদেশের জন্য গভীর সংকট ডেকে আনতে পারে।কে হবেন বিরোধী দলের নেতা? এই প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচনী ফলাফলে। দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে তফসিল ঘোষণার পরই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরোনের পর তা আরও পরিষ্কার হয়। কিন্তু বিরোধী দল কে হবে তা নির্বাচনের পরও নিষ্পত্তি হয়নি। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন-সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করেছে জাতীয় পার্টি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন-সমঝোতায় ২২টি আসনে ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন জাপার প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও তাদের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। নির্বাচনের পুরো সময় দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ছিলেন অনেকটা আড়ালে। এর পর নির্বাচনযুদ্ধে নেমে দলটির অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যারা মাঠে ছিলেন তাদের মধ্যেও নির্বাচনী তৎপরতা খুব একটা ছিল না। ভোটের আগে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের স্থানটি পেতে দেনদরবার করলেও শেষ মুহূর্তে দলটি এবার বিরোধী দলের স্থানটিও হারাতে বসেছে। জাতীয় পার্টি এবার মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে। এর বাইরে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি হাতেগোনা দুটি আসন পেয়েছে। যারা বিরোধী দল বা বিরোধী দলের জোট গড়ার মতো অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বেশি ৬০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। এ পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট বিরোধী দলের জায়গা নিতে পারে।প্রসঙ্গত, সংসদে বিরোধী দল কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে দেশের সংবিধানে কিছু বলা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সংসদের স্পিকারের। সংসদের কর্যপ্রণালি বিধির ২(১)(ট)-তে বলা বলা হয়েছে, “‘বিরোধীদলীয় নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।’’ সরকার গঠন করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে, এটা সংবিধানে বলা আছে। যে দল রাষ্ট্রপতির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হবে, সেই দলের নেতাকে উনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আর সংবিধানে অনাস্থা ভোটের বিষয়ে বলা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলা নেই। তবে প্রথা বা রেওয়াজ হচ্ছেÑ সরকারি দলের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দলই বিরোধী দল হবে এবং সেই দলের নেতা বিরোধী দলের নেতা হবেন। সেখানে তাদের কতটি আসন থাকতে হবে, এ রকম কোনো বিষয় নেই।তবে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই পেয়েছিল ২৯৩টি আসন। আর বিরোধী ছোট ছোট কয়েকটি দল মিলে পেয়েছিল বাকি সাতটি আসন। সে সময় এসব দল যৌথভাবে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা উল্লেখ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। তবে তৎকালীন সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাতে আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যই কমপক্ষে ২৫টি আসন থাকতে হবে। না হলে তাদের পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বলা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধী দল নয়।এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্ররা একত্রিত হয়ে একটা দল গঠন করতে পারেন অথবা সংসদে থাকা যে কোনো একটা দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারেন।রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলে যে দলীয় সরকারের অধীনেও একটা সুষ্ঠু কারচুপিমুক্ত সহিংসতামুক্ত নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণ হয়েছে এবারের নির্বাচনে। পেছনের কারণ যাই হোক, এবারের নির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। এটাকে একটা বড় ইতিবাচক দিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।এখন সাধারণ মানুষের চাওয়া, সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে থাকা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বিভেদ, অশান্তি কমুক এটাও মানুষ চায়। বিদেশিরা কতটা চাপ দিল, সেই চাপ সরকার সামাল দিতে পারবে কিনা, তার চেয়ে বেশি জরুরি রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সমাজের মধ্যে যে দূরত্ব ও বিভাজন তৈরি হচ্ছে তা নিরসন করা। বিদেশি চাপের ওঠানাম আছে এবং এটা কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। এর চেয়ে বেশি জরুরি নিজের সমস্যা নিজেরা সমাধানের পথে হাঁটা। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যাপারে যদি রাজনীতিবিদরা মনোযোগী হন, তা হলে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয়, সমালোচনা ধোপে টিকবে না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ced1974b0, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪," নির্বাচনী খেলা শেষ, রাজনীতির খেলা চলবে: ওবায়দুল কাদের"," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনী খেলা শেষ হয়েছে। এবার রাজনীতির খেলা চলবে।’আজ মঙ্গলবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে তবে আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করলে হবে না। ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজয় যেন ম্লান না হয় সেদিকে নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখনো পথে পথে নানা বাধা বিপত্তি চলছে। বিএনপি গণতন্ত্রের শত্রুরা এখানো হুমকি দিচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। সে দূর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদের চেতনায় স্বাধীনতা নেই।’তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে তবে আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করলে হবে না। ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। এতো বড় নির্বাচন হলো কিন্তু তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। কঙ্গোতে দেখলাম ইন্টারনেট বন্ধ, বিদ্যুৎ নেই, পরে ফল প্রকাশ। এমন নির্বাচন আমরা করিনি।’তিনি আরও বলেন, ‘গত ৪০ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। বীর বাঙ্গালীর বীর কন্যা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন। আপনি সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce8b6ee5a, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, মাগুরায় নির্বাচনে জিতে পরদিনই ঢাকায় ব্যাট হাতে সাকিব," একদিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে জিতেছেন, পরদিনই ঢাকায় অনুশীলনে দেখা গেছে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। নির্বাচনে জয়ের পর রাতেই মাগুরা থেকে ঢাকা রওনা দেন সাকিব। আজ সোমবার তিনি হাজির হন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।মূলত, বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলকে সামনে রেখেই তড়িঘড়ি করে অনুশীলনে ফিরেছেন সাকিব। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের দশম আসর। যেখানে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলবেন ৩৬ বছর বয়সী সাকিব। সাকিব সর্বশেষ ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। সেই টুর্নামেন্টে নভেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন সাকিব। বিপিএল দিয়েই ক্রিকেটে ফিরতে চান তিনি। যদিও মাগুরায় থাকা অবস্থায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীকের কাজী রেজাউল ইসলামের চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনটির মোট ১৫২ কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী, সাকিবের নৌকা পেয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৩ ভোট। আর কাজী রেজাউল পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৬ ভোট।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce8e389bb, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন শেষ হওয়ায় পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ২০২৪ শেষ হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ব্যানার ও অন্যান্য প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।গতকাল সোমবার রাত থেকেই ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি অঞ্চলে পোস্টার ব্যানার অপসারণ শুরু করেছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার সকল পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করে শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, ‘পাঁচ বছর পরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এবার ভোট হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় পোস্টার ব্যানার ব্যাবহার করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব পোস্টার ব্যানার অপসারণ করার জন্য। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ নগরবাসীকে অনুরোধ করছি নির্বাচন শেষ, আর যত্রতত্র পোস্টার ব্যানার লাগাবেন না। আমরা এই শহরকে নোংরা দেখতে চাই না। আমরা দৃশ্য দূষণ চাই না।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। নির্দিষ্ট জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বোর্ডও বসানো হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। ঢাকার সব উড়াল সড়কের পিলারগুলো চিত্রকর্মের মাধ্যমে নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cea24ae2a4, আমাদের সময়,০৯ জানুয়ারি ২০২৪, অবাধ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি," প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছি। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এটা যুগান্তকারী ঘটনা। গতকাল সোমবার গণভবনে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী বিদেশি সাংবাদিক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নিজেও তাদের উদ্দেশে কিছু প্রশ্ন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেকবার নির্বাচন করেছি। সেই ১৯৮৬ সাল থেকে আটবার আমার নির্বাচন করা হয়ে গেছে। তবে এত মানুষের আগ্রহ আগে দেখিনি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জনগণ অনেক আনন্দিত এবং নির্বাচন যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, মতামত দিয়েছেন, সেটা উপযোগী। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’২০১৪ ও ২০১৮ সালের ফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব সময় এটাই চেষ্টা ছিল, নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু করা। মানুষের যে ভোটের অধিকার, মানুষ যাকে ক্ষমতায় চায়, সে সিদ্ধান্ত মানুষই নেবে। সেজন্য নির্বাচনের ব্যবস্থাকে সংস্কার করেছি।’নির্বাচন কমিশন আইনসহ অন্যান্য বিধান তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাটাই লক্ষ্য ছিল।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আরেকটু ব্যতিক্রমী। সাধারণত আমরা দলের প্রার্থী ঠিক করে দিই বা সব দল তাদের প্রার্থী বাছাই করে দেয়। এবার আমরা আমাদের প্রার্থী বাছাই করেছি; পাশাপাশি নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যার ইচ্ছামতো দাঁড়াতে পারবে।’বিএনপির ভোট বর্জন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দলটি সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে তৈরি। তারা নিজেরা চলতে পারে না, নিজেদের জনসমর্থন থাকে না। সেজন্য নির্বাচনকে ভয় পায়। আমাদের দল হলো জনগণের।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এ বিজয়টা আমার বিজয় না।আমি মনে করি জনগণের বিজয়। কারণ, এখানে জনগণের যে অধিকার আছে, সরকার গঠন করার ক্ষমতা তাদের হাতে। আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি এ জন্য যে, জনগণের ভোটের অধিকার নিজেরা প্রয়োগ করবে; সেটা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।’নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হয়ে গেছে, এখনো গেজেট হয়নি। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। গেজেটের পর শপথ হবে, এরপর আমাদের সংসদীয় দলের বৈঠক করতে হবে। সেখানে সংসদীয় দলের নেতা কে হবে, সেটা নির্বাচন করতে হবে। তখন সরকার গঠন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। সরকার গঠন হবে। এটাই সংবিধানিক প্রক্রিয়া।’ভোট দেখতে আসায় বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এটা যুগান্তকারী ঘটনা।’ পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে, সে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমনে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা যার যার দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন বলেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধী দলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?’জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছেন কিনা। আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকা-। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেনি।’বিবিসির সাংবাদিকের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি কত মানুষ মেরেছে, সে প্রশ্ন তিনি করেননি। তারা ২০১৪-১৫ সালে যা করেছে, তাতে তাদের কীভাবে গণতান্ত্রিক দল বলা যায়? তারা সন্ত্রাসী দল এবং মানুষ তাদের সমর্থন করে না।’ভারতের টেলিগ্রাফের সাংবাদিক দেভাদীপ পুরোহিতের প্রশ্ন ছিল, ‘নির্বাচন শেষ হয়েছে। আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন আপনার বিরোধী দলের প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন?’জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি চান আমি একটি বিরোধী দল গঠন করি? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও তা করতে হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তার জন্য কে দায়ী?’বিদেশি এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তার এই বিজয় উদ্?যাপনের সময় তিনি ড. ইউনূসকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনূসের বিষয়টা শ্রম আদালতের। তার নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বঞ্চিত এবং তারা মামলা করেছেন। তিনি শ্রম আইন ভঙ্গ করেছেন, নিজের কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই। তার ক্ষমার বিষয়ের প্রশ্ন আমার কাছে আসে না। বরং তার উচিত নিজের কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরিচালনাকারী ‘লৌহমানবীর’ সঙ্গে তাকে তুলনা করেন একজন বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ চালানোর সময় পুরুষ না নারী, সে চিন্তা করা উচিত নয়। একজন নারী হিসেবে তিনি কখনোই মনে করেন না তার কোনো বাধা আছে। তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন। নারী একজন মা। যিনি পরিবার ও বাচ্চাদের দেখেন ও বড় করে থাকেন। মাতৃস্নেহ থেকেই তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই সাধারণ মানুষ। দেশের জনগণের জন্য দায়িত্ববোধ রয়েছে যে তাদের জন্য কাজ করতে হবে; তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে। সেটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ভারতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ীর সুশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশবিষয়ক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশকে লক্ষ্য ধরে তরুণ জনগোষ্ঠীকে ভবিষ্যতের জন্য সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে।’এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) সাংবাদিক অশোকা রাজের প্রশ্ন ছিল, আগামী পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য কী? নির্বাচনে জয়ের পরে ভারত থেকে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে কী ধরনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বাংলাদেশের বড় বন্ধু। ১৯৭৫-এ তার পরিবারকে হত্যার পর ভারত তাকে ও তার বোনকে আশ্রয় দিয়েছিল। যদিও কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু সেটা দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করা হয়। এ ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের নীতি।ওয়াশিংটন থেকে আসা একজন সংবাদকর্মী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন ভালো হয়েছে, এটা বলার জন্য ওই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কী বলবেন, এটা আপনার দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) চেয়ে ভালো নির্বাচন কিনা?’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চমৎকার; তারা আমার কথা শোনে। তবে কিছু বিরোধী আছে। সেটা খুব স্বাভাবিক।’ শেখ হাসিনা বলেন, তিনি প্রতিশোধপরায়ণ নন। তিনি কখনো কারও ওপর প্রতিশোধ নেননি। তিনি খোলা মনের ও উদার। অনেক টিভি চ্যানেল আছে। কিন্তু সরকারের টিভি চ্যানেল একটি। সেখানে মানুষ কথা বলছে। অনেক পত্রিকা, যারা লিখতে পারছে। সেখানে তিনি কখনোই হস্তক্ষেপ করেন না। বরং কেউ সমালোচনা করলে তা ভালো। সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce8f53b2a, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপির নির্বাচনে না আসার বিষয়ে যা বললেন ভারতীয় কূটনীতিক," জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির না আসা কিংবা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়কে অবৈধ বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রি। গতকাল রবিবার রুশ বার্তা সংস্থা আরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি কম মানে এই না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের ওপর সবাই অসন্তুষ্ট। এর দায় বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলোর ওপরেও বর্তাবে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো অতীতে অনেক সহিংসতা করেছে। সেই সহিংসতায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে। তাই তারাও জনগণের কাছে খুব একটা জনপ্রিয় নয়।’রবিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ৪০ শতাংশ বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮০ শতাংশেরও বেশি। আগেই এই নির্বাচন বয়কট করে দুই দিনের হরতালের ডাক দিয়েছিল বিএনপি।২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন বীণা সিক্রি। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা সাউথ এশিয়া উইমেন’স নেটওয়ার্কেরপ্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce80103d1, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানাল বিদেশি পর্যবেক্ষক দল," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মনে করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও জাপানের পর্যবেক্ষক দল। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস, নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল ইজলে ও আমেরিকার দ্য হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) চিফ অব স্টাফ আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে। এ সময় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও জাপানের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।পর্যবেক্ষক দল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। গতকাল আমরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশের ভোট হয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন থেকে বিরত ছিল এবং একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পেয়েছি, তাদের ভোট দিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছি।’এক প্রশ্নের জবাবে আলেকজান্ডার বলেন, ‘কোনো দল অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। তাই এ বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আমরা অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বলতে পারি। আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি দলের প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটেছে, যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু সামগ্রিক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে সেসব ঘটনা খুবই নগণ্য।’অন্যদিকে টেরি এল ইজলে বলেন, ‘যে নির্বাচন হয়েছে সেজন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি। নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce8127688, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠায়নি কানাডা সরকার," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়নি। বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা কানাডার নাগরিকদের মতামতের সঙ্গে দেশটির সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। আজ সোমবার ঢাকায় কানাডার হাইকমিশন তাদের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায়।হাইকমিশনের পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান নাগরিকরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন বিষয়ে তাদের প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।গতকাল রবিবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিদেশী পর্যবেক্ষকরা। সেখানে কানাডার সংসদ সদস্য পরিচয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন চন্দ্রকান্ত আরিয়া। তার সঙ্গে আরেক কানাডিয়ান পর্যবেক্ষক ছিলেন।চন্দ্রকান্ত আরিয়া বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অবাধ ও সম্পূর্ণ সুযোগ থাকার বিষয় আমরা খতিয়ে দেখেছি এবং নিশ্চিত হয়েছি। অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের কাছে প্রচারণার সুযোগ ছিল কি না, আমরা সেটাও দেখেছি। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি আমি দেখেছি।’আরিয়া আরও বলেন, ‘সফলভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। দুই বছর আগে কানাডার সবচেয়ে বড় প্রাদেশিক নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। মানুষ বলেছে উপস্থিতি কম, কিন্তু কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। এক বছর আগে ফেডারেল নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছিল।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce845b738, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ: সিইসি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল। আজ সোমবার দুপুরে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য দেন।এর আগে, রবিবার বিকেলে ভোট শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে আমাদের ধারণা।তার আগে, বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোটের হারের হিসাব দিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ভোট পড়েছে ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।’ তখন তিনি জানিয়েছিলেন, এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce523377111, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, অ্যাসোসিয়েট প্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য উইক, বিবিসিসহ বিশ^খ্যাত গণমাধ্যমগুলোতে গতকাল রবিবার গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ পায় বাংলাদেশের ভোটের খবর।মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) শিরোনাম করেছে, ‘সহিংসতা ও বিরোধীদের নির্বাচন বয়কটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের নির্বাচন : ভোটগ্রহণ শুরু।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের শিরোনাম ‘শেখ হাসিনার পঞ্চম মেয়াদে জয়ের নিশ্চয়তায় বাংলাদেশে ভোট শুরু’।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘বিরোধীদের বয়কটের মধ্যে বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ শুরু; ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার শিরোনাম ‘বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের মধ্যে বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ শুরু’।প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিক টাইমস। গণমাধ্যমটির শিরোনাম ‘নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু বাংলাদেশে : ১২ কোটি ভোটার বেছে নেবেন ২৯৯ সংসদ সদস্য’।এ ছাড়া আইরিশ এক্সামিনার, ফ্রান্স২৪, দ্য উইকে প্রকাশিত খবরগুলোর শিরোনামেও বিরোধীদের ভোট বর্জনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্স২৪ বলেছে, বয়কটের কারণে শেখ হাসিনার দল সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে। দ্য উইকের শিরোনামে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সম্ভাব্য বিজয় আঞ্চলিক প্রভাব ফেলবে।ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিরোধী দল ছাড়া ভোট হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে, বিরোধী দলের বর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা কম, ক্ষমতায় থাকছে শেখ হাসিনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি এবং কয়েকটি ছোট মিত্রের ভোট বয়কটের পর ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ভার্চুয়াল একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।ভোটের দিন বিবিসি শিরোনাম দিয়েছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ’। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগেই সহিংসতার ঢেউ দেখা গেছে।এ ছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সহিংসতাসহ নানা ধরনের অশান্তির খবর বেশির ভাগ গণমাধ্যমে জায়গা পেয়েছে। কয়েকটি গণমাধ্যম ভোটগ্রহণের শুরু থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত লাইভ খবর প্রকাশের উদ্যোগও নিয়েছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce53c4c33, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪," এত সুন্দর নির্বাচন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল: নৌপ্রতিমন্ত্রী"," নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এই নির্বাচন আত্মসম্মানের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকেও এত সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। রাজনৈতিক দলের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে সফল নির্বাচন করা যেতে পরে, তা আজকের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেকেই ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। তারা সবসময় উত্তেজনা ঘটাতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ উত্তেজনার বদলে উৎসবকে বেছে নিয়েছে। তাই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচন হয়েছে।’আজ রবিবার রাতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে তিনি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট দিয়েছেন, তারা প্রমাণ করেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এদেশের মানুষ প্রত্যাখান করে। এই ভোট সহিংসতা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব। ফলে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ জয়ী হয়নি, এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। আজকের এই দিনে আমি স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’তিনি বলেন, ‘সফল একটি নির্বাচন সম্পন্ন করেছি আমরা। এজন্য বোচাগঞ্জ উপজেলার সকল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের উপজেলার বাইরে যারা থাকেন তারা ভোট দেওয়ার জন্যই দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। ফলে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে মোট ভোট এসেছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১২০। এর মধ্যে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৪৯ ভোট।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce53aee1e5, আমাদের সময়,০৮ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্থান পাক," কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্থান পাক। শান্তির নির্বাচন হোক। মানুষকে আরও উন্নত জীবনে নেওয়ার জন্য স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশা পূরণ হোক। গতকাল ধনবাড়ীতে তার নিজ গ্রাম মুশুদ্দি খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।সকাল ১০টায় তার ৯৪ বছর বয়সী মা রেজিয়া বেগম ও সহধর্মিণী শিরিনা আক্তার বানুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে ভোট প্রদান করেন তিনি। পরে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল-১ আসনের মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce405a52a, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে: ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রবিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা হলেন বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়-ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রােকে শক্তিশালী করবে।’বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce42e2b30, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,"নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি), রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা। ভোটগ্রহণ শেষে আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকান-পাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।’তিনি বলেন, ‘আমাকে দুইবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানে যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে আসা কি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশে আসার জন্য আপনার ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল? বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল কি না? ‘‘না’’। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তিন মাস আগে আমি যখন জিম্বাবুয়েতে ছিলাম, তখন আমন্ত্রণপত্র পাই। আমি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে এসেছি, গাজার মতো সেখানে যুদ্ধ চলছে না।’আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘আমাদের দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও প্রতিবেদন জমা দেব। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়। আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজকে যা দেখলাম। এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখলাম। এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি।’আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও জানি না কত শতাংশ ভোট পড়েছে। সকালে যখন আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, তখন ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মানুষ আশা করছিল উপস্থিতি বাড়বে। যদি বাধ্যবাধকতা না থাকে, আপনি কেন্দ্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কেউ আপনাকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে না। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের দেশে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন। আমি জর্ডানে অনেক নির্বাচন দেখেছি, সেখানে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং সেটা ভালো নির্বাচন ছিল। এসব বিষয় রাজনীতিক ও গবেষণা সংস্থাগুলো দেখবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce37e97c81,প্রতিদিনের সংবাদ,০৭ জানুয়ারি ২০২৪,চ্যালেঞ্জের দ্বাদশ নির্বাচন কেমন হবে আজ," আজ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন করে গণরায় পাওয়ার নির্বাচন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কর্মসূচির পক্ষে জনসমর্থন যাচাইয়ের নির্বাচন।নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগ অংশ নিচ্ছে। প্রার্থী রয়েছে সকল আসনে, কেউ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বহুমুখী অর্জনের এত দীর্ঘ তালিকা নিয়ে জনগণের কাছে হাজির হয়েছে, নিকট বা দূর অতীতে তার নজির পাওয়া যাবে না।অন্যদিকে একটি মহল নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। সামনে রয়েছে বিএনপি, যারা পর পর তিনটি সাধারণ নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহতের স্লোগান তুলছে। আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তার পর নির্বাচনসহ অন্য কিছু ভাবা যাবে। তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্ট ও প্রকাশ্যÑ টেক ব্যাক বাংলাদেশ। কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে তারা বাংলাদেশকে? সেটাও স্পষ্টÑ ধর্মান্ধ একটি রাষ্ট্র, যেখানে মানবাধিকার ক্রমাগত পদদলিত হবে, বিদ্যুতের আলো কিংবা জ্ঞানের আলোÑ কোনো কিছুই তাদের এজেন্ডায় নেই। যারা দশকের পর দশক বলছে ‘ভোটের বাক্সে লাথি মার’ কিংবা বলছে ‘সংবিধান-গণতন্ত্র, এ সব মানুষের তৈরি আইন মানি না’Ñ তারাই রয়েছে বিএনপির ডান-বামে। নির্বাচনে জনগণ যেন অংশ না নেয় সে জন্য তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে, হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ট্রেন-বাসে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমেরিকার কাছে কাকুতি-মিনতি করে বলছেÑ বাংলাদেশের মানুষকে দুর্ভোগ-যন্ত্রণায় ফেলতে যত পার স্যাংশন দাও। জনগণের বিন্দুমাত্র সাড়া মিলছে না এসব কর্মসূচিতে; কিন্তু তাতেও ‘গায়েবি ঘোষণা’ বা অজ্ঞাত স্থান থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে মিথ্যাচার-কুৎসা থামছে না। এ মহলটি ‘শেখ হাসিনার অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই’ স্লোগান নিয়ে রাজপথে সক্রিয় হলেও তারা লক্ষ্য স্থির রেখছেÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অনন্য অর্জন’-এর কাছে যেহেতু ধরাশায়ী হবে, তাই কোনোভাবেই নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। বিএনপির প্রতি যথেষ্ট দুর্বল এবং আওয়ামী লীগের প্রতি কারণে-অকারণে বিরাগ পোষণ করা একটি প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক লিখেছেনÑ ‘বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে যে, নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা না পেলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো কারণ নেই। আমাদের দৃষ্টিতে এমন চিন্তা মারাত্মক ভুল। শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার প্রয়োজন তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। বিএনপি এটা বিবেচনা করছে না যে, তাদের নিজস্ব নীতি ও ভিশন প্রচারে শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে জাতীয় সংসদ এবং আগামীতে তারা সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারে।’ কিন্তু কে দেবে এমন নিশ্চয়তা? নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নাকি ‘অবতার’ বা বিদেশি কোনো রাষ্ট্র? যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ৫ জানুয়ারি লিখেছেÑ ‘শেখ হাসিনা কট্টরপন্থি ইসলাম দমন করেছেন, সেনাবাহিনীর ওপর বেসামরিক কর্তৃত্ব নিশ্চিত করেছেন এবং তার দেশকে চরম দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছেন। এগুলো এমন সব অর্জন, যা অনেক উন্নয়নশীল দেশের নেতারাই দাবি করতে পারেন না।’ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় লিখেছে- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো জয়ী হতে চলেছেন। শেখ হাসিনার এই বিজয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য একটি পরাজয় হিসেবে চিহ্নিত হবে।’অথচ বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা জো বাইডেন এবং বাংলাদেশে প্রেরিত তার ‘অবতারের’ ওপরেই বিপুল আস্থা রেখেছিল। শেখ হাসিনার দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে প্রথমে তারা অস্বীকার করেছে, পরে কথায় বদল এনেছেÑ উন্নয়ন হলেও প্রচুর দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাট হয়েছে; কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেক নেতার, এমনকি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্ত্রী-এমপির কর্মকাণ্ডে অনেক মানুষ অসন্তুষ্ট ও সমালোচনামুখর হলেও বিএনপির প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়নি। বিএনপির নির্বাচন বর্জনজনিত বাস্তবতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছেনÑ জাতীয় পার্টি ও তৃণমূল বিএনপির মতো দল প্রায় সকল আসনে প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অনেক আসনে ট্রাক বা ঈগল প্রতীকের এসব প্রার্থী ‘স্বতন্ত্র’ নামে অভিহিত হচ্ছে এবং অনেক আসনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পেরেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শুধু নয়, ব্রিটিশ সংসদীয় পদ্ধতিতে চলতে অভ্যস্ত অনেক দেশের জন্য এ অভিজ্ঞতা নতুন। যদি নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী জয়ী হয়, তা হলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ডের মনোনয়ন প্রক্রিয়া কিন্তু দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ভোটারদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হলেও কেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে? তারা কি পার্লামেন্টারি বোর্ডকে প্রভাবিত করে মনোনয়ন পেয়েছেন?অন্য শঙ্কাও রয়েছে। দেখা গেল, প্রায় সকল আসনে ২০১৮ সালের মতো নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। তখন সংসদ হয়ে উঠবে একদলীয়, সরকারের ভুল কাজের জন্য সমালোচনা শোনা যাবে না। অথচ শেখ হাসিনা ৪ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেনÑ ‘ভুলভ্রান্তি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আবার সরকার গঠন করতে পারলে শোধরানোর চেষ্টা করব।’জাতীয় সংসদে কিংবা সংসদের বাইরে জনপরিসরে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার মতো কণ্ঠ সোচ্চার না থাকার বিপদ এবং তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার কথা বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের মনে রাখা উচিত।এটাও প্রশ্ন যে, ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা যথেষ্ট সংখ্যায় জয়ী হয়ে কি সংসদে ‘স্বতন্ত্র গোষ্ঠী’ গঠন করবেন, নাকি আওয়ামী লীগে ফিরে যাবেন?বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাদের সহযোগী মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যাকারীদের দল জামায়াতে ইসলামী অংশ নিচ্ছে না। তারা সংসদের বাইরে থাকবেÑ এটা ভালো খবর। নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা নিজেদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হারাল। এ মহলটি কি আগামীতে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে, নাকি দেশকে অস্থিস্থিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাবে?এ বারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে অনেক দল, অনেক প্রার্থী। অতীতের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হয়নি। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিল। এ কারণে নির্বাচন বর্জনের নামে ভণ্ডুল করার বদ মতলব যাদের, তারা সুবিধা করতে পারেনি। ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার অপরিহার্য শর্ত একাত্তরের ঘাতক ও পেট্রলবোমা-সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণ’Ñ এ ধারণা প্রতিষ্ঠা করাতেও তারা ব্যর্থ। এখন দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছেÑ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ, ভোটকেন্দ্রে দলে দলে উপস্থিত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান। নির্বাচন কমিশন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে। এখন শেষ ধাপ বাকিÑ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান ও ফল প্রকাশ। আদপেই এটা ঘটছে কিনা, তার প্রতি নজর বাংলাদেশের ভেতরে এবং বিশ্বের অনেক দেশে। ইতোমধ্যে শত শত বিদেশি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে উপস্থিত হয়েছেন; এসেছেন অনেক সংবাদিক। আর বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা তো রয়েছেনই। নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছেÑ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা পছন্দের যে কোনো স্থানে যেতে পারবেন। এ জন্য কারও অনুমতি প্রয়োজন পড়বে না। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোটি কোটি ‘চোখ’ তো রয়েছেই। কোথাও অনিয়ম ঘটলে সেটি মুহূর্তে জেনে যাবে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। নির্বাচন প্রক্রিয়া ও জনগণের ভোটদানের অধিকার কেউ বিঘ্নিত করতে চাইলে, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে সেটাও কিন্তু ধরা পড়বে এসব ‘চোখে’।সার্বিক পরিস্থিতি থেকে বলা যায়- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনন্য উৎসবমুখর ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হতে চলেছে। জনগণের ব্যাপক উপস্থিতিতে গঠন হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, যা হবে প্রাণচঞ্চল এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সেখানে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাবে জনগণের কণ্ঠ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435503,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪,"এবার নতুন খেলায় নেমেছি, বললেন ওবায়দুল কাদের"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনের খেলা শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা নির্বাচনের খেলা শেষ করেছি। এবার শুরু হবে আমাদের খেলা। আমরা এখন নতুন খেলায় নেমেছি।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।নতুন খেলার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন খেলা হবে রাজনীতির খেলা। এখন খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এবার খেলা হবে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। এবার খেলা হবে সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে—বিএনপি ভুয়া, তাদের এক দফা ভুয়া। বিএনপির বর্তমান ভুয়া, ভবিষ্যৎও ভুয়া। তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, চারদিকে শুধুই অন্ধকার।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকের মঞ্চ আলোকিত করেছেন। পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ পার্টি লিডার অব হাউজ নির্বাচিত করেছে। তিনি আগামীকাল বঙ্গভবনে শপথ নেবেন। তিনি বাংলাদেশে রূপান্তরের রূপকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাহক। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য। আমাদের আশার বাতিঘর। আমাদের সাহসের সোনালি ঠিকানা। তিনি আমাদের দুরন্ত সাহস ও শৌর্য-বীর্যের প্রতীক।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435498,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আবারও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় লিটন চৌধুরীকে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসন থেকে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নূর-ই-আলম চৌধুরী। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি।একাদশ জাতীয় সংসদেও চিফ হুইপ ছিলেন নূর-ই-আলম চৌধুরী। বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয়।এদিকে বুধবার আওয়ামী লীগের এমপিদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।এছাড়া সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।এদিন সকালে শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে শপথবাক্য পাঠ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে নিয়মানুযায়ী স্পিকার নিজে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন।রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে।২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, এছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছেন ৩টি আসন",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435484,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, আবারো স্পিকার হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারো স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সংসদ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়েছে। একাদশে জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও উপনেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।এছাড়া বর্তমান নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।,Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435500,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিলেন রাষ্ট্রপতি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তিনি।বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি।এতে আরও বলা হয়, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434038,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, কাঁচিকে সমর্থন সরে দাঁড়ালেন বিএনএম প্রার্থী ," সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনএম প্রার্থী আব্দুল হাকিম। সোমাবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুনের বাসভবনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের কর্মিসভায় যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।আব্দুল হাকিম সরে দাঁড়ানোর ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মমিন মন্ডল, জাতীয় পার্টির ফজলুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অ্যাডভোকেট নাজমুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আব্দুল হাকিম বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করব।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434017,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে : কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অটল ও অবিচল জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। দেশের মর্যাদা বাড়াবে।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যপারে আমরা অবিচল, অটল। আমাদের ওপর নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে।সেতুমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জনগণ যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য বিএনপি ও তার দোসররা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। ৭ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে তা থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নাই। যা কিছুই তারা করুক সন্ত্রাস, আগুন।বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। যত সন্ত্রাস তার করতে যাক। খুবই রহস্যময় কিছু প্রোগ্রাম, আমরা অবাক হচ্ছি ৪ তারিখ তারা লিফলেট বিতরণ করছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার দিকে ভয়ঙ্করভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। সেজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নীরবতা দেখানো হলেও সশস্ত্র হয়ে উঠবে এমন খবর আমরা পাচ্ছি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০১৩ শুরু করে ১৪, ১৮ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সারা বাংলাদেশজুড়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর, রাস্তা কেটে ফেলা, রাস্তায় আগুন দেওয়া, ৫ শর বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। এবারও তারা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ তারা জানে আন্দোলনে তারা সফল হয়নি, নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশি। পরিকল্পনা, প্রস্তুত সব কিছুই সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন যাতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত। আমি এক কথায় বলব, সন্তোষজনক।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433870,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের মাঠে নির্ভার জাপার মোস্তাফিজুর," আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় কুড়িগ্রাম-১ (ভুরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী) আসনে নির্ভার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে তিনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাঙ্গলের প্রতিপক্ষ জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাইও (গোলাপ ফুল) ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। করছেন সভা-সমাবেশও। এ আসনে অন্য তিন প্রার্থী ভোটে থাকলেও মাঠে নেই। নির্বাচনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি থাকলেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা প্রতীক) এখনো প্রচারণা শুরু করেননি।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪২৯ এবং ভূরুঙ্গারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটার মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন। এই আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির আব্দুল হাই (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পাটির্র নুর মোহাম্মদ (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা)সহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন।সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই উপজেলার হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজুর রহমান লাঙ্গল এবং জাকের পার্টির আব্দুল হাইয়ের (গোলাপ ফুল) নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ রয়েছে। তবে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারের কোন অফিস বা গণসংযোগ চোখে পড়েনি। ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভোটার মোস্তাক, রাজু ও মাহবুব জানান, লাঙ্গল ও গোলাপ ফুল মার্কার পক্ষে-বিপক্ষে তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনেছি আরো তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে তাদের আমরা কখনো দেখিনি এবং চিনিও না।ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির জামান, রাসেল ও রনি জানান, এবার সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রথমবার ভোট দেব। শুনেছি এবার ৫ জন ভোটে দাঁড়িয়েছে। সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিনি। বাকি ৩ জনের নাম কখনো শুনিনি। এ বিষয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নূর মোহাম্মদ (আম মার্কা) জানান, ভোটের মাঠের আমরা নতুন প্রার্থী। তাই স্থানীয় ভোটাররা অতটা চেনেন না। পরিচিত হতেই নির্বাচনে এসেছি। দুই উপজেলাতে পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে। তবে কোন জনসভা বা পথসভা করা হয়নি।বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা) জানান, ৬টি দল মিলে জোট করেছি। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখনো জোটের কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারিনি।গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা) এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) আব্দুল হাই জানান, প্রচারণা চালাতে গিয়ে একাধিক জায়গায় লাঙ্গলের কর্মীদের বাধার মুখে পড়েছি। শনিবার রাতে নাগেশ্বরীর হাছনাবাদ ইউপিতে আমার নির্বাচনী জনসভায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রচার-প্রচারণায় অনেকটা নির্ভার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙ্গল প্রতীক) ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম-১ আসনের লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার এমপি বানিয়েছে। এবারও জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, এই আসনে ৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা শতভাগ আশাবাদী।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433872,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, পটিয়ায় বিএনএম প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা ," চট্টগ্রাম -১২ (পটিয়া) সংসদীয় আসনে বিএনএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এয়াকুব আলী সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।গত রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে নোঙ্গর প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।ইশতেহারে এম এয়াকুব আলী বলেন, আমার আগামীর পরিকল্পনা পটিয়া হবে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ-স্বাস্থ্যকর, সুশাসনের, মানবিক, উন্নয়নের, স্মার্ট ও ডিজিটাল। প্রতিটি ইউনিয়ন, রাস্তা ও বাড়ি ভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন। পরিকল্পিত খাল খনন, ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে পটিয়াকে স্বাস্থ্যকর বাসস্থান উপযোগী করে তোলা।পর্যায়ক্রমে পাবলিক স্থানে ফ্রি ওয়াই-ফাই চালু ও ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা গ্রহণ, সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ডিজিটাল বুলেটিন বোর্ড স্থাপন, নাগরিক সমস্যা, নাগরিক সেবা, অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুকরণ। মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, শিক্ষার্থী, ও বয়স্ক নর-নারীদের জন্য বিশেষ সেবা সম্বলিত প্রজেক্ট কার্ড চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি ইশতেহারে উল্লেখ করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মনসুর আলম, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ ছৈয়দ, আবদুর রশিদ, নাদেরুজ্জামান, ইকবাল মেম্বার, ডা. জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, মোহাম্মদ আলী মেম্বার ও মোহাম্মদ বেলাল প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433873,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, প্রচারে উৎসবের আমেজ রাউজানে," প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা অপর চার প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট শফিউল আজম ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইসলামিক ফ্রান্টের (চেয়ার) প্রতিকের প্রার্থী স ম জাফর উল্লাহ সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। জাতীয় পাটির প্রার্থী শফিউল আলমের (লাঙ্গল) পোস্টার দেখা গেলেও তাকে দেখা যাচ্ছে না নির্বাচনী মাঠে। এই আসনের তৃণমূল বিএনপির (গমের শীষ) প্রার্থী ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরীর কোনো প্রচারণা নেই।সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের যত আগ্রহ নৌকা প্রতিক নিয়ে। হাট বাজরের নির্বাচনী ক্যাম্পে চলছে নৌকার প্রচারণা। নৌকার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাতদিন ব্যস্ততম অতিবাহিত করছেন পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে পথসভা ও গণসংযোগ করে। তার সমর্থনে প্রচারণায় মাঠে আছেন ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী। অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে নৌকার পোস্টার।নৌকার একছত্র্য অধিপত্য সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাউজানের রাজনীতির ইতিহাসে একমাত্র ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে এই উপজেলাকে রাউজান বিএনপি-জামায়াত দুর্গ ভাঙার। নৌকার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ রাউজানে স্বতঃফুত ভোট উৎসব দেখবে।ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থীর নির্বাচনী সমন্বয়ক সেকান্দর হোসেন বলেন, ভোটের দিন চেয়ার প্রতিকের ভোট বিপ্লব ঘটবে। ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম বলেন, তিনি সাধ্যমত প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তৃণমূল বিএনপি’র ইয়াহিয়া জিয়া বলেন, তিনি তার দলের শীর্ষ মহল থেকে সহাযোগিতা না পেয়ে হতাশ। লাঙ্গল ও গমের শীর্ষের প্রার্থীকে না পাওয়ায় তাদের অভিমত জানানো যায়নি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434076,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে বেকাররা চাকরি পাবে’," শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা চাকরি পাবে। গত ১৫ বছরে চাঁদপুর-৩ নির্বাচনি এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে ৪৪ কমিউনিটি ক্লিনিক, চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সি ইনস্টিটিউট, মেরিন ইনস্টিটিউট, মৎস্য ইনস্টিটিউট স্থাপন ও বিদেশগামীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে উঠান বৈঠক ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চাঁদপুর সদর আসনে ৫ লাখ ৯ হাজার ভোটার। এত অল্প সময়ে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। আপনারা (নেতাকর্মী) বাড়ি গিয়ে আমার জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন।দীপু মনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় নদী ভাঙন ছিল বড় ধরণের সমস্যা। সেটি নিরসন হয়েছে। এই আসনে নৌকার আগে ৩২ বছর আরও এমপি ছিল। কিন্তু আপনারা ভোট দিয়েও এমপিদের কাছে পাননি। কিন্তু যারা ওই সময় এমপি হয়েছে নদী ভাঙন রোধে বাঁধ দেয়নি। তারা রাস্তা ঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কোন কিছুরই উন্নয়ন করেনি। তারা যেহেতু উন্নয়ন করেনি, তাহলে নৌকা ছাড়া অন্য কারো কথা আমরা বলতে পারি না।এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, উপ-প্রচার সম্পাদক হাসান ইমাম বাদশা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434075,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাকের নির্বাচনী জনসভা ," চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একাংশ) আসনের ফ্রিজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খান সিআইপি'র নির্বাচনী জনসভা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন ষ্টেডিয়াম চত্ত্বরে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন।চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন প্রার্থীর সহধর্মিণী দিলরুবা তনু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জীপু।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন দুদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জানিফ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আমাকে আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে মহান জাতীয় সংসদে যাবার সূযোগ করে দিন। আমি আপনাদের স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা উপহার দেব। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলেও উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434039,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন। এ আসনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চলছে দিনরাত সমান তালে। তবে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ। জয়ের সম্ভাবনায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।জানা যায়, ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গাইবান্ধা-৪ আসন। এ আসনে এবার ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাতীয় পাটির (লাঙ্গল) প্রার্থী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মশিউর রহমান।এ আসনে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সকাল-সন্ধ্যা গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক আর ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী তার কর্মী সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে, হাটে বাজারে জনগণের কাছে ট্রাক মার্কায় ভোট চাইছেন। অপর জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী অধ্যক্ষ মশিউর রহমানও তার কর্মী নিয়ে মানুষের কাছে লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়ে গ্রামগঞ্জে চষে বেড়াচ্ছেন।এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে সাধারণ ভোটার ও তরুণ ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পেতে সব বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে যারা কাজ করবে তাদের নেতা বানাতে চান ভোটাররা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434250,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, পুরান ঢাকাকে ‘স্মার্ট ঢাকা’ বিনির্মাণে কাজ করব : সাঈদ খোকন," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পুরান ঢাকাকে ‘স্মার্ট ঢাকা’ বিনির্মাণে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।বুধবার (৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার ওয়ারীতে নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, পুরান ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচিত হতে পারলে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নিব। প্রধানমন্ত্রী এবার স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমি পুরান ঢাকার সমস্যা দূর করে স্মার্ট ঢাকা বিনির্মাণে কাজ করব।সাঈদ খোকন বলেন, আমি মেয়র থাকা অবস্থায় শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এবার আমাকে জনগণ নির্বাচিত করলে আমি পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে গড়ার জন্য কাজ করব। এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ হবে। একসময় টোকিও বা সিঙ্গাপুর সিটি পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছিল। প্ল্যান করে এটাকে উন্নত করা হয়েছে। আমরাও এরকম একটা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি।জনগণ ভোট দিতে যাবে কি না এবং জনগণের কীরকম সাড়া পাচ্ছেন, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন- যখন থেকে প্রচারণার কাজ শুরু হয়েছে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রায় এক মাস যাবত আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার নেত্রীর সালাম পৌঁছে দিয়েছি এবং ভোট প্রার্থনা করছি। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। প্রচারণায় গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগামী ৭ জানুয়ারি এই এলাকার মানুষ ভোট দিতে আসবে এবং নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434259,প্রতিদিনের সংবাদ,১০ জানুয়ারি ২০২৪, স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্টুর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা," চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুরহুদা, জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন, নেহালপুর, গড়াইটুপি ও বেগমপুর ইউনিয়ন) আসনে ঢেকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টুর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ আসনের মূল স্থান দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। লন্টুর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢেকি প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা লন্টু উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্টু বলেন, তিনি বিজয়ী হলে তার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। এসময় তিনি তার দেওয়া ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া নৌকা প্রতীকের ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক তার ভোটার ও কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নাজেহাল করার অভিযোগ আনেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. হামিদুর রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবু সাঈদ মোহাম্মদ হাসানসহ অন্যরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434377,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের প্রচার শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকালে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে। ফলে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনের প্রচারণায় প্রতিটি আসনে ছড়িয়ে পড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ।প্রচারের শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিএনপি ও তাদের মিত্রদের ভোট বর্জনের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে প্রায় শতাধিক আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।গত ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল এবারের নির্বাচনী প্রচারণা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে। এরই মধ্যে ভোটের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।,Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434426,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,"দুঃখজনক হলেও সত্য বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই, বললেন তথ্যমন্ত্রী"," বামপন্থি দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাম জোট- এ বিষয়ে মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তি। আমার মধ্যেও কিছু বাম চিন্তা আছে। আমাদের দলেরও মূল স্তম্ভ সোশ্যালিজম। যে কারণে বামদের সম্মান করি।তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের অনেক বিষয় আমি সমর্থনও করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই, তারা ভোটে মানুষের সমর্থন পায় না। ঢাকা শহরে তো কেউ কেউ মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৭ লাখ ভোটের এই ঢাকা শহরে তাদের ভোটের সংখ্যা হাজারের অংশ পার হয়নি। তাদের ভোট নেই, তারা ভোট বর্জন করুক কিংবা না করুক; তার কোনো প্রভাব নেই।এ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যত শতাংশ ভোট পড়ে, তার চেয়ে বেশি ভোট এই নির্বাচনে পড়বে বলে আশা করছি।ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার এবারও একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ ছাড়া নির্বাচন করতে যাচ্ছে, যা সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এ পর্যন্ত কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম।‘ভারতে স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য নির্বাচনে যে মাত্রায় সহিংসতা হয়, সেগুলোর চেয়ে আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা অনেক কম। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে কি না; সেটা মুখ্য বিষয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও অনেক নামকরা দল অংশগ্রহণ করেনি, অনেক বিখ্যাত নেতা অংশ নেননি। সেই নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিল।’তিনি বলেন, সেই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। কাজেই ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা অনেক সহজ। কিন্তু যদি দেশে একটু এসে দেখে যেতো, গ্রামগঞ্জে ঘুরে যেতো, তাহলে দেখতে পেত, কী পরিমাণ উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তারা মাসখানেক আগে এ রিপোর্ট লিখেছিলেন। কিন্তুি গত ২০ দিনে লোকজন কতটা নির্বাচনমুখী তা দেখতে পারলে রিপোর্টটি তারা সংশোধন করে নিতেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আশা করি, রিপোর্টটি তারা পরে সংশোধন করবেন।মন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ব্যাপক নির্বাচনী উৎসব তৈরি হয়েছে। সবাই আজ এই উৎসবে শামিল হয়েছেন। দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারণার জোয়ার বইছে। কার্যত আজ নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করা যাবে।‘একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্কভুক্ত দেশগুলো, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে। তারা এরই মধ্যে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এসেছিল, ঠিক একইভাবে এবার বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক এসেছেন। নির্বাচন নিয়ে এই ব্যাপক-উৎসাহ উদ্দীপনা বলে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহলও এটিকে গ্রহণ করেছে।সেক্ষেত্রে বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা কিংবা নির্বাচনবিরোধী প্রচার জনগণ গ্রহণ করেননি বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির ঘোষণা কার্যত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যে কারণে তারা এখন প্রতিহত করা থেকে সরে এসে নির্বাচন বর্জনের ডাক দিচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি পিছু হটেছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434616,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," ‘আমি দিতে এসেছি, নিতে নয়’"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও নিম্নলিখিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা তিতুদহ, বেগমপুর এবং গড়াইটুপি ইউনিয়ন) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থনে বিশাল জনসভা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল চারটার দিকে শুরু হয়ে রাত ৮টার দিকে শেষে হয় ।সর্বশেষ এ জনসভায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়েছে। সবার হাতে দেখা যায় ঈগল প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। সমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।জনসভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, জনগণকে আমি দিতে এসেছি, নিতে নয়। রাস্তাঘাট তৈরি, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দেন।দিলীপ আগরওয়ালা আরো বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো দাদা। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতার সুষ্ঠ বন্টনে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই আমি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে যেতে চাই। যদি আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে আপনাদের পাশে থেকে সবসময় এই এলাকার উন্নয়ন করে যাব। এছাড়া দিলীপ আগরওয়ালা বলেন, নির্বাচিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি , চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্য, মাদক বানিজ্যসহ সব অপকর্ম নিরসন করব।সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা এড. শফিকুল ইসলাম শফির সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকন, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আয়উব হোসেন, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434559,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক দলকে সুষ্ঠু ভোটের অঙ্গীকার আ.লীগের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে ঢাকায় অবস্থানরত কমনওয়েলথের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ।শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন দলটির প্রতিনিধিরা।বৈঠকে ১৫ সদস্যের কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেন জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওরেট ব্রুস গোল্ডিং। অন্যদিকে ১০ সদস্যের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠক করে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক দলটি।ওই বৈঠকে ভোটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে পুলিশপ্রধানের কাছে জানতে চান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আইজিপিও সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।২০০-এর বেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ছাড়া ২০ হাজার ৭৭৩ জন দেশি পর্যবেক্ষককে ভোট দেখার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশ (ইসি)।দেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434596,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," প্রচারণায় রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নেননি শেখ হাসিনা, বললেন কাদের"," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো রাষ্ট্রীয় প্রটোকল গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগ ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা।শুক্রবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরান (রা.)-এর মাজার জিয়ারতের পর আওয়ামী লীগের প্রথম বিভাগীয় জনসভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকা, ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি ২৩ জেলায় ভার্চুয়াল নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো উৎসব, গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুতরাং নির্বাচনটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনার ওয়াদা অনুযায়ী আজ দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পাশাপাশি, দারিদ্যের হার কমে হয়েছে মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, অতি দারিদ্র কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর ৮ মাস হয়েছে।সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে ।নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিদের নিয়ে কাদের বলেন, ইতোমধ্যেই বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক এসেছেন। তা দেখে আমরা উৎসাহিত বোধ করছি। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা আশা করবো— অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার সঠিক চিত্র তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434436,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট ও উন্নত দেশ পাবেন ," তরুণ ভোটারদের আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র উল্লেখ করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকের তরুণরাই আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। তোমরা আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হবে। তাই তোমাদের বলব, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।’বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের ভোগই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন মো. তাজুল ইসলাম। একই দিন উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের সাইক চাইল এলাকায়, সরসপুর ইউনিয়ন, বাইশগাঁও ইউনিয়ন ও ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের পোমগাঁও গ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী উঠান বৈঠক করেন তিনি।কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-কুমিল্লা) আসনে ষষ্ঠবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উল্লেখসংখ্যক নতুন ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। তাদের উদ্দেশে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তরুণ ভোটারদের সমর্থন চাই। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে স্মার্ট ও উন্নত দেশ পাবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই দেশ দেবেন। তাই তরুণ ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।’বৈঠকে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক তরুণ, নৌকায় ভোটের আহ্বানযেকোনো পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক ভোটের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়সাংবিধানিক ভোটের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারয়মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট এমন একটা প্রক্রিয়া, বিশ্বের শত শত বছরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হয়েছে, এই ব্যবস্থাপনাই উত্তম ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ, যেকোনো পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক ভোটের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা উচিত, অব্যাহত থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়। তুলনা যদি করি, ইউরোপ, আমেরিকাতে যত সমস্যা হোক না কেন, নির্বাচন কিন্তু হয়।’মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সমাজে সুশাসন দরকার, ন্যায়বিচার হওয়া দরকার, ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। একজন নেতার গুণাবলি হলো সমাজে ভালো কাজ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সত্য বাস্তবায়ন করা। আপনি নেতা, আপনি যদি ভালো কাজ করেন, আপনাকে জনগণ মূল্যায়ন করবে, আপনার কথা শুনবে; আর খারাপ কাজ করলে ঘৃণা করবে। আমি মন্ত্রী, আমি যদি ভালো কাজ করি তাহলে আমি পুরস্কার পাব। আর খারাপ কাজ করলে তিরস্কার পাব।’মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ দেশের জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবে, তাই সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাই। ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’কুমিল্লা-৯ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, ‘৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে যেসব দেশে সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুযায়ী, অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়, সেই দেশগুলো উন্নত হয়েছে। আমরা ইউরোপের কথা যদি বলি, ইউরোপের প্রায় সব দেশে তাদের সরকারের মেয়াদকালে আবার নির্বাচন হয়। গ্রেট ব্রিটেনের মার্গার থ্রেসার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তিনি প্রতিবার নির্বাচিত হয়েছেন ভোটের মাধ্যমে।’নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, মনোহরগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব।আরো ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, আবদুল মান্নান, আশিকুর রহমান হিরণ ও আলমগীর হোসেন; আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার রুহুল আমিন, শাহজাহান বেপারি, শফিকুর রহমান, মোরশেদ আলম, আমির হোসেন মন্টু, মোবারক হোসেন হাওলাদারসহ অন্যরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434776,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের দিন প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে আ.লীগ," আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশের সকল নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে আচরণ বিধি মেনে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকেও সহায়তা করতে হবে।শনিবার (০৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের কাছে ভোট বিরোধী নাশকতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।তিনি বলেন, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইসি জানিয়েছে সরকারের নির্বাহী বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলবে।এছাড়া আ. লীগের নেতা কর্মীদের ভোটার, নাগরিক, সকল প্রার্থীকে অনুরোধ জানিয়েছি ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থাকতে এবং ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য আচরণ বিধি মেনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সাংগঠনিক নির্দেশনা পাঠিয়েছি।তিনি আরো বলেন, আমরা যেমন ভোটারদের জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিতে পারি না। একইভাবে তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধাও দিতে পারি না।বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি জনগণ অত্যন্ত সংগ্রামী। এই জাতি জীবনের বিনিময়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।দেশের জনগণ নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে ভীতির সৃষ্টি করছে বিএনপি, জামায়াত। যে নাশকতা সৃষ্টি করছে এটি ফৌজদারি অপরাধ। তারা মশাল মিছিল করছে, চোরাগোপ্তা হামলা করছে। মানুষ এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে চায়।৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এরই মধ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগে চারজন নিহত হয়েছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/434630,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের দিন বিএনপির চক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জেনে গেছে : তথ্যমন্ত্রী," তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটের দিন মোটরসাইকেলে এসে পেট্রোল বোমা ও বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। তাদের এই চক্রান্ত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং র‌্যাব পুলিশসহ প্রত্যেকটি বাহিনী ইতিমধ্যেই জেনে গেছে। সেই কারণে তাদের পক্ষে এগুলো বাস্তবায়ন করা কখনো সম্ভবপর হবে না।শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ররাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।মূলত বিএনপি এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘গতকাল উত্তরবঙ্গে তারা দু’টি স্কুল ঘর পুড়িয়েছে। যারা সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, অকারণে হরতাল ডাকে, মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়, তারা জনগণের প্রতিপক্ষ। জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে বিএনপির ইতিপূর্বের সব পরিকল্পনা-চক্রান্ত যেভাবে ভেস্তে গেছে, এবারেও সেইভাবে ভেস্তে যাবে। যদিওবা এ সব দুস্কৃতকারীদের কোনো অবস্থান চট্টগ্রাম ৭ আসনের রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী অংশে নাই, তারপরও সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানাই।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগেও হরতাল ডেকেছিল, কিন্তু দেশের মানুষ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। বিএনপির এই হরতাল কে, কখন, কোন সময়ে ডাকে কেউ জানে না। এ সমস্ত হরতাল ডেকে তারা নিজেদেরকে হাস্যকর করেছে। তাদের হরতাল একটি ভোঁতা অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, 'বিএনপির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল নির্বাচনকে ভন্ডুল করা। হরতাল-অবরোধের সাথে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েও তারা যখন দেখতে পেয়েছে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, তখন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বহু মানুষকে হত্যা করেছে, আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সর্বশেষ একজন মা তার শিশু সন্তানসহ বিএনপির ছোঁড়া পেট্রোল বোমায় পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে, এবং সেই হৃদয়বিদারক মৃত্যু আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে দিয়েছে। শুধু দেশের মানুষ নয়, মহান স্রষ্টাও তাদের উপর নারাজ ও নাখোশ হয়ে গেছে। এগুলো করেও যখন নির্বাচনের উৎসব ও আমেজকে থামাতে পারেনি, এরপর তারা পিছু হটেছে। এখন বিএনপি আর নির্বাচন ভন্ডুল কিংবা প্রতিহত করবে সেই শব্দগুলো ব্যবহার করছে না। এখন বলছে, তারা নির্বাচন পরিহারের আহবান জানাচ্ছে। অর্থাৎ তারা পিছু হটে গেছে, কিন্তু চক্রান্ত থামায়নি।'দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, 'আমাদের দেশে নির্বাচন একটি উৎসব, সেই উৎসব আজকে সারা দেশ জুড়ে বিরাজ করছে। আগামী রোববার জনগণের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। এই বিজয়ের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে পরপর চতুর্থবার, এবং পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করবেন। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।'রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, আবদুল মোনাফ সিকদার প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435029,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, পঞ্চমবার জয়ী মো. তাজুল ইসলাম," কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে পঞ্চমবারের মতো জয়ী হয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার অনুষ্ঠিত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তুলনায় বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। এর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মো. তাজুল ইসলাম এই আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।কুমিল্লা-৯ আসনে ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এর মধ্যে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ৬০টি এবং লাকসাম উপজেলায় ৬৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।রবিবার রাত ১০টার দিকে পাওয়া ফলাফলে দুই উপজেলা মিলিয়ে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এর মধ্যে মনোহরগঞ্জে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৭১ ও লাকসামে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৭৫ ভোট পান তিনি। এদিকে তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী চেয়ার প্রতীকে মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট।রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এ মালেক ইনস্টিটিউটে (রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়) ভোট দেন মো. তাজুল ইসলাম। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সপরিবারে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন তিনি। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে ষষ্ঠবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।এর আগে ১৯৯৬ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা-৯ আসনে সংসদ সদস্য হন মো. তাজুল ইসলাম। পরে ২০০১ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তবে ২০০৮ সালে আবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন মো. তাজুল ইসলাম। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।এদিকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435177,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, টানা চারবার সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ," নবম, দশম, একাদশ এবং সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মিলিয়ে টানা চারবার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। কোনো দলের টানা চার মেয়াদে জয় দেশের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক। কয়েকটি আসনে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সার্বিক অর্থে রবিবার শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।বিএনপি এবং এর সমমনা ১৬টি দলের ভোট বর্জনের পাশাপাশি হরতাল ডাকার মধ্যেই গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রাতে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ২২৪ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, কল্যাণ পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র ৬২ জন জয়লাভ করেন।এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকাপ্রার্থীর বিপক্ষে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও প্রায় প্রত্যেকেই আওয়ামী ঘরানার। শুধু তা-ই নয়, তাদের অনেকেই দলটির পদধারী নেতা।ইসি জানিয়েছে, সারা দেশে ভোট পড়ার গড় হার ৪০ শতাংশ। ভোট শেষে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। ভোটগ্রহণ পরিদর্শন শেষে হোটেল সোনারগাঁয়ে সাংবাদিকদের সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস বলেন, ‘আমি যেটি দেখেছি সেটি হচ্ছে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435183,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," বেসরকারি ফল : আ.লীগ ২২৪, স্বতন্ত্র ৬২, জাতীয় পার্টি ১১, অন্যান্য ১"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২২৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পর সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৬২টি আসনে। বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। আর অন্যান্য দল জিতেছে একটি আসনে।স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সৈয়দ একরামুজ্জামান এবং সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী জয় পেয়েছেন।গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়। ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে গতকাল ভোট হয় ২৯৯টি আসনে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ফল ঘোষণা করেন। তার কাছ থেকে প্রতিটি আসনের পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়া যাচ্ছিল। ভোররাতে তিনি ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে উল্লেখ করে এই কার্যক্রম শেষ করে দেন।নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবারের নির্বাচনে অংশ নেয় ২৮টি। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বেশ কিছু দল নির্বাচনে নেই। ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য না থাকায় আগেই পরিষ্কার ছিল, আওয়ামী লীগ বড় জয় পেতে যাচ্ছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435031,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, বিপুল ভোটে বিজয়ী শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসন থেকে বিপুল ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক।আসনটিতে ভোটকেন্দ্র ১০৮টি। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপির শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬০ ভোট। আর জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যা গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।,Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435470,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা," আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে, নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ায় যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল, অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। আমাদের নতুন সরকার গঠন করার পর নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও, সেদিন স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, যখন জাতির পিতা দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছে। সেই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।দেশে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারির বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো জায়গায় ৭০ শতাংশের উপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। শহরাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় ভোট কম পড়েছে, কারণ মানুষ তিনদিন ছুটি পেয়েছিল, ছুটি পাওয়ার কারণে মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে শহরাঞ্চলে ভোট কম পড়েছে।তিনি বলেন, যেসব পর্যবেক্ষক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিল, বিশেষ করে মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক, অন্য জোটভুক্ত দেশ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যারা এসেছিল তারা সবাই এই নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখে অভিভূত হয়েছে। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। জাপানসহ ৩১ দেশের রাষ্ট্রদূতরা এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারত-চীন-রাশিয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435368,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রধান্য পাবে জাতীয় পার্টি, বললেন আইনমন্ত্রী"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন আনিসুল হক।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে অবশ্যই জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কালকে (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এই আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’‘নির্বাচন কমিশন নতুন সদস্য সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথটা নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবেন না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’কারা বিরোধী দল হবে সেই বিষয়ে পরিষ্কার হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ কালকে শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধীদল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারবো।’স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মার্কাও ছিল ভিন্ন। নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগার এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইনের কথা বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি তিনি ইনশাল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সকলে দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলবো, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারো স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435367,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী খেলা শেষ হলেও রাজনীতির খেলা চলবে : সেতুমন্ত্রী," নির্বাচনের খেলা শেষ হলেও রাজনীতির খেলা চলবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী খেলা শেষ হয়েছে। এখন রাজনীতির খেলা চলবে।’তিনি বলেন, ‘এখনো পথে পথে নানা বাধাবিপত্তি চলছে। বিএনপি, গণতন্ত্রের শত্রুরা এখনো হুমকি দিচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। সে দূর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদের চেতনায় স্বাধীনতা নেই। এদের চেতনায় দ্বিজাতিতত্ত্ব। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। মাথা গরম করা যাবে না। এতবড় নির্বাচন। কিন্তু তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। কঙ্গোতে দেখলাম ইন্টারনেট বন্ধ। বিদ্যুৎ নেই। পরে ফল প্রকাশ। এমন নির্বাচন আমরা করিনি।’তিনি বলেন, ‘গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। বীর বাঙালির বীরকন্যা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। আপনি সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪২ বছর ধরে আপনি নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, সেই দলের বিপুল বিজয়ে আপনাকে অভিনন্দন। আগামীকাল সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ এবং সংসদে সংসদ পার্লামেন্ট পার্টির বৈঠকে আমাদের নেতা সংসদ নেতা নির্বাচিত হওয়ার মাহিন্দ্রক্ষণ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435514,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, মন্ত্রীসভার ডাক পেলেন মো. তাজুল ইসলামসহ ৩৬ জন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে ডাক পেয়েছেন মো. তাজুল ইসলামসহ ৩৬ জন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিতে যাওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হয়েছে। এর আগে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ৩৬ জনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া হয়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে দলটি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন ২৯৭ জন সংসদ সদস্য।ইতিমধ্যে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পাওয়া সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. তাজুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, আনিসুল হক, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ড. হাছান মাহমুদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ফরহাদ হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435469,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা," শপথবাক্য পাঠ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে নিয়মানুযায়ী স্পিকার নিজে নিজেই শপথ গ্রহণ করেন।শপথ নিতে এদিন সকাল থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। স্পিকার শপথ কক্ষে প্রবেশ করেন সকাল ১০টা ৮ মিনিটে।সংশ্লিষ্টরা জানান, শপথগ্রহণ শেষে সংসদ সদস্যরা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সচিবের দপ্তরে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। তারা দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় অংশ নেবেন।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435471,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,অষ্টমবার এমপি হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা," অষ্টমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গঠিত হতে যাওয়া সরকারে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ৮ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ নেতা।এদিকে গত দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে।এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও বিএনপির জোট থেকে বেরিয়ে আসা কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয় পেয়েছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435481,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,প্রথমবার এমপি প্রথমবার বাবা হওয়ার মতো : সৈয়দ ইব্রাহিম," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি)। ইব্রাহিম শপথ নিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রথমবার এমপি হওয়া প্রথমবার পিতা হওয়ার মতো ভালো লাগছে।বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিতে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন তিনি।প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর শুকরিয়া, ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ।প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এমপি হলে ভালোই লাগে। প্রথমবার পিতা হবার মতো।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। তার প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে।২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, এছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছেন ৩টি আসন",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435472,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,আজকের শপথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়কে সংহত করা: কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিনের শপথ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়েছে তা সমুলে উৎপাটন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়কে সংহত করা। বুধবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই দিনে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল।এদিন সকালে প্রথমে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে।পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরও একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিনে তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর পাকিস্তানের কারাগার ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে পাকিস্তান থেকে লন্ডনে যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435382,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,আগামীকালই শপথ নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির ১১ এমপি,"আগামীকালই শপথ নেবেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বিষয়টি মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম।তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত বৃহস্পতিবারের সভা বাতিল করা হয়েছে।আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের একাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সব সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435514,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, মন্ত্রীসভার ডাক পেলেন মো. তাজুল ইসলামসহ ৩৬ জন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে ডাক পেয়েছেন মো. তাজুল ইসলামসহ ৩৬ জন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিতে যাওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হয়েছে। এর আগে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ৩৬ জনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া হয়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে দলটি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন ২৯৭ জন সংসদ সদস্য।ইতিমধ্যে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পাওয়া সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. তাজুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, আনিসুল হক, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ড. হাছান মাহমুদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ফরহাদ হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435509,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন যারা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ-বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজ শপথ নিয়েছেন ২৯৭ জন সংসদ সদস্য।এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ৩৬ জনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার শপথ নিতে আসার জন্য ফোন দেওয়া হচ্ছে।ইতোমধ্যে সেই ফোন অনেকেই পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. তাজুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, আনিসুল হক, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ড. হাছান মাহমুদ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435485,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,আবারও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার আওয়ামী লীগের এমপিদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদেরও নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর- ই- আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।সংসদ নিতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশে জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয়।এদিকে সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।এছাড়া বর্তমান নুর ই আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।,Positive https://www.protidinersangbad.com/national/435484,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪,আবারো স্পিকার হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদীয় দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারো স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সংসদ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়েছে। একাদশে জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও উপনেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।এছাড়া বর্তমান নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।,Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432459,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নৌকা প্রতীকে ভোট দিলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয় ," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে আরো আধুনিক করা হবে। আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়ন করেছি। আগামীতে এমপি হলে আমার এলাকায় অসমাপ্ত সব উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নেবে। লাকসাম পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। নৌকা মার্কা মানে দেশের মানুষের উন্নয়ন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে এবং দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়।রবিবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী আসন লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের উন্নয়ন আর আপনাদের সমস্যা সমাধানে দিন-রাত শ্রম দিয়েছি। আপনাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজের পারিবারিক জীবন বিসর্জন দিয়েছি। আপনাদের জন্য আমি সব সময় কষ্ট করেছি, আপনাদের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছি, আপনাদের ডাকে সব সময় সাড়া দিয়েছি। আপনারা আমার জন্য এক দিন কষ্ট করবেন অর্থাৎ ভোটের দিন আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দেবেন। আসন্ন নির্বাচনে ভোটের দিন আপনাদের জন্য ব্যয় করা শ্রমের মূল্য চাই। আমি আপনাদের সন্তান, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাদের সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আপনাদের পাশে থাকব। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।একই দিন মন্ত্রী মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও, হাসনাবাদ ও মৈশাতুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করেছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, মফিজুর রহমান, কামাল হোসেন, আশিকুর রহমান হিরণ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবুল বাশার মজুমদার, দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, গাজী গোলাম সরোয়ার, লায়ন মহসিন খাঁন স্বপন, সৈয়দ আবদুল মতিন বাবুল, ডাক্তার বেলায়েত হোসেন, প্রফেসর আমির হোসেন মন্টু, আলমগীর হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, সদস্য সচিব জীবন দেবনাথ টুটুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবসহ উপজেলা এবং হাসনাবাদ, বাইশগাঁও, মৈশাতুয়া ও ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432594 ,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, সিপিডির কাছে লোপাট টাকার সন্ধান চাইলেন কাদের," যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।এ সময় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কাছে ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবো।আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এটাতো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা। কোনো প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে, তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির জিরো টলারেন্স। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, তাদের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। যারা নির্বাচনের পক্ষে তারাই আমন্ত্রণ পাবেন।তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ সেটি কমিশন দেখবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে দেখার দায়িত্ব কমিশনের। আমি কোনো দল বুঝি না, ১৮৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ প্রতিদ্বিন্দ্বিতা বিঘ্নিত হলে, প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খলা হলে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432760,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক বিকেলে," ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার বিকেলে।দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেল ৪টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমার রংপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধির সঙ্গে বিকেলে এই কার্যালয়ে বৈঠক হবে। সে কারণে নেত্রীকে বলে আমি রংপুর যাইনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432623,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আমার নির্বাচনী আসন লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাসহ সারা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সেজন্য আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদিন নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সব স্তরের নেতাকর্মীকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এমপি নির্বাচিত হলে আমার এলাকার অসমাপ্ত সব উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের চলমান অগ্রযাত্রা, গণতন্ত্র ও শান্তি অব্যাহত রাখতে বারবার নৌকা মার্কাকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে।সোমবার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন, আজগরা ইউনিয়ন ও উত্তরদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।* বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলছি* নিয়মিত লাকসাম ও মনোহরগঞ্জবাসীর খোঁজ রেখেছি* শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছেমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আপনাদের সন্তান। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করেছি। সারা দেশের গ্রামে নাগরিক সুবিধাসহ সবকিছু পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যে অঙ্গীকার নিয়ে সরকারের উন্নয়নযাত্রা শুরু হয়, সে যাত্রার দায়িত্বের বেশিরভাগ অংশ আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের ওপর অর্পিত ছিল। আমার মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভালো কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের জোয়ারে সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হওয়ার পথে আমরা এগিয়ে চলছি। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নেবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি সততার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমার প্রিয় লাকসাম ও মনোহরগঞ্জবাসীর খোঁজখবর নিয়মিত রেখেছি। জনগণের পাশে সব সময় ছিলাম, যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের পাশে থাকব। সেজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। সারা বাংলাদেশের মতো আমার নির্বাচনী এলাকায়ও প্রচুর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হয়েছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সী সাহা, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ, ইমাম হোসেন, নজরুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ লাকসাম উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432815,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দেয়। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি চাই, ৭ জানুয়ারি সারা দিন আপনারা সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও সরকার গঠন করার ব্যবস্থা করে দেবেন। এর মাধ্যমে আমরা আগামী দিনে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।’মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই দিন মন্ত্রী উপজেলার বিপুলাসার, নাথেরপেটুয়া ও লক্ষণপুর ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য নিজের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা আমাকে ১৯৯৬ সালে, ২০০৮ সালে, ২০১৪ সালে এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সন্তান। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। আমাদের কুমিল্লার উন্নয়নে কাজ করেছি।’মনোহরগঞ্জে যোগাযোগব্যবস্থা থেকে শুরু করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন করেছেন মন্ত্রীযতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন এলাকাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাসউৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার আহ্বানলাকসাম-মনোহরগঞ্জে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আবারও যদি আপনাদের ভোটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে আপনাদের অসমাপ্ত উন্নয়নকাজগুলো সমাপ্ত করা হবে। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে আরো আধুনিক করা হবে। আমি আপনাদের সন্তান, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন আপনাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আবারও আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা-দীক্ষায়, চাকরিতে অধিষ্ঠিত করার জন্য শেখ হাসিনা কাজ করেছেন। আজকে নারীরাও পুরুষের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। মা-বোনসহ সবার উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথাই বলব, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং আমাদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। এর মাধ্যমে সরকার গঠন করে আপনাদের উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করবেন। আশা করি, আপনারা সবাই মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবেন।’সভায় দেশের মানুষকে উৎসাহ-উদ্দীপনায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে ভোটার হিসাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান মো. তাজুল ইসলাম। মন্ত্রীর নির্বাচনী গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম, মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন।আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, মহিন উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আবুল বাশার মজুমদার, গাজী গোলাম সরোয়ার, ফিরোজ আহমেদ, আবদুল হাই কন্ট্রাক্টর, সিদ্দিকুর রহমান, শেখ বাবুল, ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432921,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আজ ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্যান প্যাসিফিক হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জানা গেছে, এবার নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432945,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে : ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটারদের টার্ন আউট নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। জয় আমাদের হবে।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, আমরা এক প্রতিকূল পরিবেশের মুখে লড়াই করে যাচ্ছি। নির্বাচন আমাদের করতে হবে, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে নির্বাচিত সরকারের হাতে, সেটা আমরা বিশ্বাস করি।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের কাছে একজন ইন্সপায়ারিং লিডার। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল ডিপ্লোমেটিকের নাম শেখ হাসিনা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432942,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন তিনি।অনুষ্ঠানে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432816 ,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নৌকায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী ও তালতলী) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জন্য ভোট চেয়েছেন তালতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস আলী ফরাজী।সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের জনসভায় ভোট চান তিনি। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউনুস আলী ফরাজী।এসময় বিএনপি নেতা ইউনুস আলী ফরাজী বলেন, আমি আমার সোনাকাটা ইউনিয়নবাসীকে বলতে চাই যে আমি আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই। আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট চাইছি। এতে দোষের কিছু নেই।তালতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা ইউনুস আলী ফরাজীকে পাত্তা দেইনা।’",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432934,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু আ.লীগের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়।নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।ইশতেহার ঘোষণা করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা হোটেল সোনারগাঁওয়ে উপস্থিত হয়েছেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার।ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিলো, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432983,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ক্ষমা চাইলেন মাহিকে জুতাপেটা করতে চাওয়া সেই মাহাম," রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করা সৈনিক লীগের নেতা মাহাবুর রহমান মাহাম আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।মাহাবুর রহমান মাহাম রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামের ছদের আলীর ছেলে। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করেন।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় তিনি রাজশাহী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। এ সময় আদালতের বিচারক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ তাকে নিজ কামরায় ডেকে নেন। আপত্তিকর মন্তব্যের ভিডিওর ঘটনায় মাহাম আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালত পরবর্তীতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটানোর শর্তে তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।রাজশাহী-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট এজাজুর রহমান মানু জানান, ভুলবশত এমন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তাকে আদালত শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করেছে।প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে Md. Mahabur নামক ফেসবুক আইডি থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শারমিন আকতার নিপা মাহিয়া এর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও মানসম্মান হানিকর ভিডিও বক্তব্য প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালালে শারমিন আকতার নিপা মাহিয়াকে জুতাপেটা করা ও নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা প্রদানের হুমকিসহ যেকোনো বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলে ভিডিওতে মন্তব্য করেন। আপত্তিকর এই মন্তব্যের অভিযোগে সৈনিক লীগের ওই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432984,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, আমাকেই ভোট দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই : নিজাম হাজারী," ফেনী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমাকেই ভোট দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি জাল ভোটে এমপি হতে চাই না। জনগণের ভোটে এমপি হতে চাই।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ধলিয়ায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি।নিজাম হাজারী বলেন, এই আসনে আমিসহ আটজন প্রার্থী রয়েছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছে না। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। ভোটাররা যেন কেন্দ্রে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের ভোট প্রদান করতে পারে সেজন্য আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বলে দেওয়া হয়েছে।বক্তব্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অতীতে যে কোনো নির্বাচন আসলেই একটি গোষ্ঠী এখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাতো। তবে এখন আমি যতদিন বেঁচে আছি সেই কাজটি আর কেউ করতে পারবে না।নির্বাচনে জয়লাভ করলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, আপনাদের কাছে আজ শূন্য হাতে এসেছি। আমার আজ দেওয়ার কিছু নেই। তিনি যদি নৌকা প্রতীকে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত করেন, তাহলে ফেনী সদর আসনের সকল অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করব।এদিন সকাল থেকে সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মোল্লার তাকিয়া, বালুয়া চৌমুহনী, ধলিয়া বাজার, সোমবারিয়া বাজার, বাগেরহাট, সাইনবোর্ড ও আল হুমায়েরা মাদরাসা মাঠ এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন নিজাম হাজারী। এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।এ সময় ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্ল্যাহ বিকম, সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ধলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমদ মুনশীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433157,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটের আগে দল বদল জাপার তিন শতাধিক নেতাকর্মীর," ঢাকার নবাবগঞ্জে ভোটের আগে দল বদল করলেন জাতীয় পার্টির তিন শতাধিক নেতাকর্মী। স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ ও দলে অবমূল্যায়নের কারণে তারা আওয়ামী লীগে যোগদান করে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমানের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তারা যোগদান করেন। যোগদান অনুষ্ঠানে ঢাকা-১ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলামের সমালোচনা করেন ওই দলত্যাগী নেতারা।যোগ দেয়া চার নেতা হলেন, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, জাতীয় মাহিলা পার্টির ঢাকা জেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রেশমী আক্তার, জাতীয় যুব সংহতির নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহফুজুর রহমান মাহফুজ।এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে জাতীয় পার্টিও রাজনীতি করি। ঢাকা -১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সালমা ইসলামের বিগত নির্বাচনে কাজ করেছি। কিন্ত কোন মূল্যায়ন পাইনি। এবার তিনি লাঙ্গল নিয়ে এসেছে আমরা তার কর্মকাণ্ডে খুশি না। তাই এবার সালমান এফ রহমানকে ভালবেসে তার উন্নয়ন দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে লাঙ্গল ফেলে নৌকাতে উঠলাম। যতদিন বেঁচে থাকবো আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করবো।নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, অ্যাড সালমা ইসলাম একজন সুন্দর মনে মানুষ। দোহার ও নবাবগঞ্জের সাধারণ ভোটাররা তাকে এবারও সাদরে গ্রহণ করেছে। কিছু নেতাকর্মীরা দল থেকে যেতেই পারে, এর জন্য দলের কোন প্রভাব পড়বে না। আমরা চিন্তিত নয়, আমরা বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম আবারো এমপি নির্বাচিত হবেনঢাকা জেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি রেশমা আক্তার ও নবাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় যুসংহতির আহ্বায়ক, জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ রহমান মাহফুজসহ অন্য নেতাকর্মীরা যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির ঢাকা-১ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলামের বিগত দিনের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।এসময় সালমান এফ রহমান জাতীয় পার্টি থেকে আসা সকল নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শিকদারের সঞ্চালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনার কলি পুতুল।উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কিসমত, সহসভপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা জেলা আওয়ামালীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ নাহিদুল আলম নাদিম, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ সুজন বাবু প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433108,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টায় ঢাকার প্রার্থীরা," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন আসনে জমে উঠছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন তারা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে নৌকার প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও আওয়ামী লীগের সমর্থক। ফলে আওয়ামী লীগের নিজেদের ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে। তাই ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন তারা।নিজ নিজ আসনের ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ ছাড়াও নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা।ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বুধবার রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেক, ঢাকা উদ্যান ও তুরাগ হাউজিং এলাকায় গণসংযোগ করেন।ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়ে বুধবার ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে জিরো পয়েন্ট, রাজাবাড়ি, পশ্চিম দোলাইরপাড়, তুলাবাগিচা, পালপাড়া, ঋষিপাড়া, সরাই, দোলাইরপাড়ে ও মীরহাজীরবাগে গণসংযোগ করেন।ঢাকা-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্না ৬৬, ৬৭ ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ করেন ও নির্বাচনী পথসভায় যোগ দেন।অন্যদিকে ঢাকা-১৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন রাজধানীর মধ্য পাইকপাড়া মুড়ি ফ্যাক্টরির মোড়ে তার নির্বাচনী ক্যাম্পে প্রচারণা চালান।ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান বুধবার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন। বিকেলে তিনি কাজিরচর আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠে জনসভায় অংশ নেন। এর পর তিনি সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের নিয়ে উঠান বৈঠক করেন।ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পক্ষে মতিঝিল টিএ্যান্ডটি কলোনি মাঠে বুধবার সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ।এ ছাড়া ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাঈদ খোকনের পক্ষে কাপ্তানবাজার মোড়ে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করে তারা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433098,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, বিকেলে ছয় জেলার জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে বিকেলে ছয়টি জনসভায় অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে এসব জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এর আগে ২১ ডিসেম্বর পাঁচ জেলায় এবং ২৩ ডিসেম্বর ছয় জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433130,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," আবারও ক্ষমতায় গেলে কী করবেন, জানালেন ওবায়দুল কাদের"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছরে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরে ২০ লাখ। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ রোধ করা, সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার ঘটানোকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার তার বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নেব এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রধানমন্ত্রী এতো উন্নয়নের পরও এটা বলছেন। আমার কোনো ভুল নেই, দেশ পরিচালনায় সবকিছু সঠিক করেছি এমন বাগাড়ম্বর কথা উনি পেশ করেননি।’ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433268,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ঢাকায় নির্বাচনী জনসভার অনুমতি পেল আ.লীগ," আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানীতে নির্বাচনী জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমিতি চেয়ে আবেদন করা হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামী ১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনি জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।তার আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানীতে নির্বাচনী জনসভা করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুরের শারীরিক চর্চাকেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433481,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন পলক," নির্বাচনী প্রচারণা সভায় নাটোর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আপনাদের সন্তান পলক যা করেছে বিগত ৪০ বছরে এর চেয়ে বেশি কেউ করতে পারেনি। তাহলে আমার দু-চারটা ভুল যদি থাকে তাহলে কি মাফ করা যাবে না?শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের পাওটা গ্রামে প্রচারণা শেষে এক পথসভায় এ কথা বলে তার ভুলত্রুটির জন্য ভোটারদের কাছে ক্ষমা চান পলক।প্রতিমন্ত্রী পলক এসময় বলেন, আমার ভুলের কি কোনো ক্ষমা নেই? আমি কিন্তু আপনাদের কাছে শুধু ভোট চাই না। আমি আপনাদের ভোট এবং হৃদয়ের ভালোবাসা চাই।পলক বলেন, যে কাজ করে তার ভুল হয়। আর কাজ যে করে না তার ভুল হয় না। আমি ফেরেশতা না, তাই ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য ভোটারের কাছে আহ্বান করেন পলক।এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাতারদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাব হোসেন আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য শামীম হোসেন বাদশা প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433623,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ঢাকায় ২০ শর্তে জনসভার অনুমতি পেল আ.লীগ," সোমবার (১ জানুয়ারি) ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনী জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ।২০ শর্তে ক্ষমতাসীনদের জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওইদিন দুপুর ২টায় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পক্ষে উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক অফিস নথি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বরাবর পাঠানো হয়।এতে বলা হয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর দাখিল করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে সোমবার বেলা ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী জনসভার অনুমতি প্রদান করা হলো।এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবেঅনুমোদিত স্থানেই নির্বাচনী জনসভার যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।কোনো অবস্থাতেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না।নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।শব্দদূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।নির্বাচনী জনসভার কার্যক্রম ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।নির্বাচনী জনসভার ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রড সদৃশ বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪-এর আচরণবিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের স্মারক নং- ১৭.০০.০০০০.০৩৪.৩৬.০১৮.২৩(অংশ-৬)-৭৭৬ তারিখ-১২/১২/২০২৩ এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৪৪.০০.০০০০.০৭৯.০১.০০২.২০২৩-৫৫২তারিখ-১৪/১২/২০২৩-এর বিজ্ঞপ্তি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এই জনসভার অনুমতি চেয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।ওই দিন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের (সোমবার) কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433456,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জনসভায় যোগ দেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন ছোটবোন শেখ রেহানা।এর আগে শুক্রবার রাতে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।টুঙ্গিপাড়ায় জনসভা শেষে কোটালিপাড়ায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বিকেলে মাদারীপুরের জনসভায় যোগদান শেষে সড়কপথে আজই ঢাকা ফেরার কথা তার।নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেল ৩টায় বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।,Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433699,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, জাপা প্রার্থীর পক্ষে আ.লীগের একাংশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদারের পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের একাংশ। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পূর্বাশা কমিউনিটি সেন্টারে এক নির্বাচনী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী।তবে সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন রাজু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজলকে দেখা যায় নি। এই আসনে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খাঁন রাজুকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু তার ছেলে খাঁন মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতিক নিয়ে মাঠে লড়ছেন।জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম ছাড়াও এতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, যুবলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান মন্টি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ফিরোজ হোসেন চন্দন, ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হাসান রবিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন, শাহিন হোসেন শুভসহ পৌরসভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী।জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দলের সবাইকে ডাকার পরও যারা আসেননি, তারা ব্যক্তি লীগ করেন। আরো পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, কারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মানেন না। দুই উপজেলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আরেকবার সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখছি।’",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433703,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, `ইশতেহারে হয়রানিমূলক মামলা নিরসনের আশ্বাস'," হয়রানিমূলক মামলা নিরসনের আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাসিরনগর সদরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি, আবার বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে , তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।’পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বলি জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো। আসলে এটা আগুন জ্বালানোর জন্য না; তবে কেউ যদি প্যাসিফিক কাউকে উদ্দ্যেশ্য করে কিছু বলেন সেটা অন্য বিষয়।’ এ সময় তিনি নাসিরনগরের শিল্পকারখানা গড়ে ৫০ হাজার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433702,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, ‘পলককে দিয়ে এলাকা ঢেলে সাজিয়ে ফেলুন’," আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আপনারা পলককে দিয়ে এলাকা ঢেলে সাজিয়ে ফেলেন। অনুন্নত চলনবিলকে সাজিয়ে নতুন রূপ দিয়েছেন আমার ছোট ভাই পলক।’রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন খায়রুজ্জামান লিটন। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্বাচনী জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।মেয়র লিটন বলেন, ‘চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলা একসময় ছিল অবহেলিত, অনুন্নত। ১৫ বছরে পলক সিংড়াকে পরিবর্তন করে নতুন রুপ দিয়েছেন। যিনি কাজ করেন, তার ভুল হয়। পলকও কাজ করতে গিয়ে ভুল করেছেন। তার ভুলত্রুটি মাফ করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে চলনবিলকে উন্নয়ন করার সুযোগ করে দিবেন।’বিএনপির সমালোচনা করে লিটন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্র করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। তাদের পাল্লা ভারী নয়, এ জন্য নির্বাচনে আসতে চায় না। বিএনপির শাসনামলে সারের জন্য মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এখন আর সারের জন্য জীবন দিতে হয় না।’সিংড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433662,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই : কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।রবিবার দুপুর ১২টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনের কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি শক্তি আমাদের পরামর্শ দিলে গ্রহণ করব। কিন্তু আমাদের নির্বাচনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উস্কানি দিলে এটা মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যা করছে, আজকে বাংলাদেশে বিএনপি তাই করছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই।বিএনপি দেশে লাশের রাজনীতি করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি আমাদের দেশে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে, লাশ ফেলার রাজনীতি করতে চায়।ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক জিয়া দেশে আসার সাহস নেই।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো প্রার্থী বা কোনো একজন নামী নেতাকে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা এটা প্রতিরোধ করবেন। বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না। তিনি বলেন, খেলা হবে ৭ জানুয়ারি, ফাইনাল খেলা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433814,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, রাজধানীতে আ.লীগের নির্বাচনী জনসভা বিকেলে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভা করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় জনসভা শুরু হবে। এতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌখভাবে এই জনসভার আয়োজন করেছে। এতে রাজধানীর সবগুলো আসনের নৌকার প্রার্থী উপস্থিত থাকবেন।জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। জনসভাটি সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ২০ শর্তে আওয়ামী লীগকে ঢাকায় নির্বাচনি জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পরদিন রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ জনসভা সফল করতে জরুরি বর্ধিত সভা করা হয়। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের পাশাপাশি আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকার দুই সিটির কাউন্সিলরদের বড় জমায়েতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433704,প্রতিদিনের সংবাদ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," ভোটের মাঠে নৌকার এক, তৃণমূল বিএনপির দুই নারী প্রার্থী"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার চারটি আসনে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী। নির্বাচনে জয় পেতে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এসব নারী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা।এবারের নির্বাচনে প্রার্থীতা করা এই তিন নারী প্রার্থী হলেন, বাগেরহাট-২ (কচুয়া ও বাগেরহাট সদর) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মরিয়ম সুলতানা (সোনালী আঁশ), বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী লুৎফর নাহার রিক্তা (সোনালী আঁশ)।বাগেরহাট-৩-এ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তিনবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তাকে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদারসহ ছয়জন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে।এদিকে, বাগেরহাট-২-এ তৃণমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময়সহ ছয়জনের সঙ্গে। এবারই প্রথম সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর আগে কখনো প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা যায়নি মরিয়মকে। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করছেন তিনি।অন্য দিকে, বাগেরহাট-৪-এ তৃণমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ ছয়জনের সঙ্গে। এই নারীও এবার প্রথম সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টানিয়েছেন তার সমর্থকেরা। লিফলেট বিতরণ ও ভোটারদের কাছেও যাচ্ছেন তিনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432115,প্রতিদিনের সংবাদ,"২২ ডিসেম্বর, ২০২৩", একই আসনে মুখোমুখি ভাই-বোন," কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ভাই-বোনের মধ্যে লড়াই হবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে ও মেয়ে প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভাই ও বোন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও বর্তমান এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি।জানা গেছে, সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে তার ছোট বোন লিপির প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এক শতাংশ ভোটারের তথ্য ও স্বাক্ষর গরমিলের কারণে গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাতিল করেন কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ। পরে আপিলে গত ১০ডিসেম্বর প্রার্থীতা ফিরে পান। ১৭ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহরের শেষ দিন থাকলে তিনি তা করেননি।এ আসনটিতে সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও গত রবিবার (১৭ডিসেম্বর) দুইজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তারা হলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বিসিবি পরিচালক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (স্বতন্ত্র) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো.নাসির উদ্দিন।সাতজন দলীয় ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মো. আব্দুল হাই, এনপিপি প্রার্থী আম প্রতীক মো.আনোয়ারুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী ছড়ি প্রতীকে মো. আব্দুল আউয়াল, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী হাতপাখা মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীকে মোবারক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল এমপি লিপির বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432109,প্রতিদিনের সংবাদ,"২২ ডিসেম্বর, ২০২৩", ১ জানুয়ারি ঢাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা," আগামী ১ জানুয়ারি (সোমবার) রাজধানীতে নির্বাচনী জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুরে শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) এবং মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।উল্লেখ্য, ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা। এরই অংশ হিসেবে গতকাল (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/433861,প্রতিদিনের সংবাদ,০১ জানুয়ারি ২০২৪, ভালুকায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন," ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর বাস ভবন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদের ওয়াহেদ টাওয়ারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ধলিয়া বাজারে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকার কর্মীরা হামলা, ভাঙচুর ও মারধরে করে। এতে ধীতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমসহ ১২ নেতাকর্মীকে আহত হয়েছেন।স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ভালুকায় নৌকার প্রার্থী ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে ভোটারবিহিন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাচ্ছেন। তিনি (নৌকার প্রার্থী) পরাজয় নিশ্চিত জেনে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন। সম্মেলনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণের দাবি করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাকির হোসেন শিবলী, এজাদুল হক পারুল, সাদিকুর রহমান তালুকদার, নজরুল ইসলাম সরকার, ইব্রাহীম খলিল, খোকন হোসেন ঢালী, এবিএম আসাদুজ্জামান সানা, জালাল উদ্দিন পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম প্রমুখ।এদিকে নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌকার নির্বাচনী অফিসে হামলা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননা, মারধর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর হায়াত খান নঈম, ধীতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শারফুল, আদনান খান প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432451,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩"," নির্বাচনী প্রচারে মা, ছেলে, পুত্রবধু ও বেয়াই"," গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ হতে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এবং গাজিপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির পক্ষে ভোট চাইছেন তার ছোট ছেলে মাশরুর রহমান। ছেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ছেলের বউ স্বপ্না সাথী ও বেয়াই মোহাম্মদ রশিদ মিয়া।রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বাজার, পূবাইল ও মিরের বাজার এলাকায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।জানা যায়, বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে তাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। এছাড়া ওই এলাকার ব্যবসায়িদের সঙ্গে তারা শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।এ সময় তাদের সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নেন কালীগঞ্জ পৌর মেয়র এস এম রবীন হোসেন, কালীগঞ্জ সরকারী শ্রমিক কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এম আই লিকন, সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432268,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩"," জাতিসংঘের বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয় : তথ্যমন্ত্রী "," তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গতকাল এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি এবং ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, নির্বাচনকালে যেন সহিংসতা না করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য। সত্যিকারার্থে দেশে অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে।’শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেসব বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারে বারে ধরনা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, এই সমস্ত বিষয় এখন আর নাই। এখন নির্বাচনটা কীভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হবে এটি অনুধাবন করতে পেরে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নি সন্ত্রাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছে। তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা এবং শিশু সন্তানসহ চার জনকে হত্যা করেছে এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় সেটি যত না নৃশংস ও বিভৎস ছিল, তার চেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা।’তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচন সবসময় একটি উৎসব, সে নির্বাচনি উৎসব প্রকৃতপক্ষে এখন বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে। এতে করে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের যে ডাক দিয়েছিল সেটি ভণ্ডুল হয়ে গেছে। তারা শুরুতে মনে করেছিল নির্বাচন হবে না, এখন তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, নির্বাচন তো হচ্ছেই, সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হচ্ছে। গণমাধ্যম জুড়েও এখন নির্বাচনি বিষয় স্থান পাচ্ছে।’ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটি আমরা বরদাশত করবো না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে ওঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয়, আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোন ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নাই।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রতিটি জেলা শহরে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, অনেক জেলা শহরে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যালের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি হলে সেখানে শুধু আইসিইউ নয়, সমস্ত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।’‘পত্র-পত্রিকায়ও রিপোর্ট বেরিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার কিনে দেওয়ার পরও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে চায় না, সেগুলোকে চালু করে না, এরা আসলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়- যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432942,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩",আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন তিনি।অনুষ্ঠানে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432921,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩",আজ ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্যান প্যাসিফিক হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জানা গেছে, এবার নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431170,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", জাতিসংঘের বিবৃতি নির্বাচন প্রতিহতকারী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে গেছে : তথ্যমন্ত্রী," তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্ভয়ে ভোটদানে জাতিসংঘের আহবানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি বিএনপি-জামায়াত, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গেছে।শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এমন বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, 'এটি একটি ভালো স্টেটমেন্ট। জাতিসংঘের এ স্টেটমেন্টকে আমরা স্বাগত জানাই। এবং কারা ভোটদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন। বিএনপি-জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে তারা ভোট প্রতিহত করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে মানুষ না যায়, সেজন্য তারা ভীতিসঞ্চার করছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, রেললাইন খুলে ফেলছে। সুতরাং আমি মনে করি এই বিবৃতি তাদের বিরুদ্ধে গেছে। কারণ এই বিবৃতি যারা ভোটকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে।''বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েই যাচ্ছে, এটি প্রশাসনের ব্যার্থতা কি না' এ প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'ওরা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল, সেটি এখন পারছে না। এবং এটিকে শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কাজ করছে।'আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। যে কারো সঙ্গেই 'স্ট্র‍্যাটেজিক এলায়েন্স' হতে পারে।এর আগে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ডিআরইউ সংগঠনটি চমৎকারভাবে কাজ করছে। আমি অনেক আগে থেকে তাদের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত, ভবিষ্যতেও থাকবো।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজ সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসাস্থল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সংগঠনগুলোর সাংবাদিকদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্স করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে করে কেউ অসুস্থ হলে ও মৃত্যুবরণ করলে টাকা পাবে। এই সুবিধা দেশে কম।ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা এ সময় মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা অর্পণ করেন। সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক মো: তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব ও মো: শরীফুল ইসলাম এ সাক্ষাতে অংশ নেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431246,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩", ৩০০ আসনেই প্রার্থী থাকবে জাপার," জোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের জোট-মহাজোট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করা যায়। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমাদের এই আলোচনা চলবে। আমরা নির্বাচন করতে এসেছি। নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য নয়।শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, আমদের তিন শ আসনেই প্রার্থী থাকবে। একটা সিটও আমরা প্রত্যাহার করব না। নির্বাচনে ফাইট করব। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একটা কৌশল থাকে। আমাদেরও কৌশল আছে। সব কৌশল তো আমরা প্রকাশ করব না।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বা জিডি করেছেন বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এই ধরনের হুমকি আমিও প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। আমার মোবাইল ফোনেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি এসব হুমকি-ধামকির পরোয়া করি না।এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে গত বুধবার জিএম কাদেরকে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে মেসেজের মাধ্যমে প্রাণনাশের ‍হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার জিএম কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আব্দুল হান্নানের করা ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর জিএম কাদেরের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে হুমকি দেওয়া হয় তিনি যেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন। তারপরেও যদি তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান বলেন, জিএম কাদেরকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431881,প্রতিদিনের সংবাদ,"২১ ডিসেম্বর, ২০২৩", নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা জাতীয় পার্টির," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ স্লোগান সামনে রেখে জাপার নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু, ঢাকা থেকে ৫০ শতাংশ সদরদপ্তর স্থানান্তর, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সরকারি প্রভাবমুক্ত রাখা, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করা প্রভৃতি।প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়া ছাড়াও দলটির ইশতেহারে আছে, কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন পাস না করা, ইসলামিক কমিশন গঠন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা এবং ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ হবে দেশের আন্তর্জাতিক নীতি। এ ছাড়াও বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থায়ী জায়গা করে দেওয়ার অঙ্গীকার রয়েছে ইশতেহারে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431578,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩", বুধবার নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার বুধবার থেকে শুরু করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত ও জনসভার মাধ্যমে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।সফরসূচি অনুযায়ী, বুধবার সকালে বিমানে ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছেই তিনি দুই সুফিসাধকের মাজার জিয়ারত করবেন। মাজার জিয়ারতের পর বিকেলে নগরের সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এর জন্য আগে থেকেই সেখানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকার বাইরের যত নির্বাচনী সভা তিনি ভার্চুয়ালি করবেন, এর সব কটিতেই এখান থেকে যুক্ত হবেন।আগামী ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরিশাল সফর করবেন। ওই দিন বেলা ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।পরদিন (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী যাবেন নিজ জেলা গোপালগঞ্জ, এরপর মাদারীপুরে। ওই দিন প্রথমে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকার জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এরপর মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431544,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩", আওয়ামী লীগের বিজয় র‍্যালি দুপুরে," আওয়ামী লীগকে রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা করার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ র‍্যালির আয়োজন করছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে।জানা গেছে, দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (রমনা) থেকে বিজয় দিবসের র‍্যালিটি মৎস্যভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেষ হবে।র‍্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সহযোগী সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এদিন সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।এর আগে সোমবার র‍্যালি করবে বলে জানায় দলটি। তবে কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/431277,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩", ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ আসন পাচ্ছে জাতীয় পার্টি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টির নিজস্ব চাওয়া আছে, তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আসনে নৌকার প্রার্থী থাকবে না।রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। কোনো অশোভন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রার্থিতার বিষয়ে আজ বিকেল ৪টার মধ্যে ফাইনাল হবে।তিনি বলেন, বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনকে ভাগাভাগি বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও প্রায় ২২০০ প্রার্থী আছে, সে নির্বাচন কীভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়?এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429471 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩",`সরকারের আশ্বাসেই নির্বাচনে এসেছি' ," জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলীয় প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নয়জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এছাড়া, ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল। ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাব।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429484 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩","যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগ উঠে যাবে, বললেন ইনু "," যে আসনে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।তিনি বলেন, যে কোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দর কষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়, তাহলে শেষ বিচারে হাসিমুখে উঠে যাবো। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাবো। যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক এবং রাতের খাবারের মধ্যদিয়ে এ বার্তা পরিষ্কার হয়েছে যে, জোট আছে। জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবো।জাসদ সভাপতি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কী হবে তা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। আরও সময় আছে আলোচনা করে দেখবো। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।ইনু বলেন, কেউ প্রত্যাহার করে নিলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় না। তা করার জন্য যার যার দল তার প্রার্থীকে অনুরোধ করতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি মনে করি না মনোমালিন্য কিছু হবে। দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করবে শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429485 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩",জাপার সঙ্গে আলোচনা করে জোটের আসন ভাগাভাগি : আমু ," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের শরিকদের আসন বণ্টনের বিষয়টি নির্ধারিত হবে। জোট শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এ কথা জানিয়েছেন।তিনি বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, কাল (বুধবার) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আমির হোসেন আমু বলেন, গতকাল (সোমবার) জোট নেতাদের সঙ্গে আমাদের ১৪ দলের নেত্রীর একটি সভা হয়েছে। সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় মহাজোটের আসন বণ্টনের বিষয়টিও উঠে এসেছে।আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না।মহাজোটের এই মুখপাত্র বলেন, অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল আসন ভাগাভাগির জোট নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আছে। ১৭ তারিখের আগে জোট শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।বৈঠকে ১৪ দল নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রমুখ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/432045 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩",আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গানের উদ্বোধন বিকেলে , আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গানের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।বিকেল ৫টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ে অবস্থিত বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির অফিস কক্ষে উপকমিটির উদ্যোগে ‘নির্বাচনী গান’ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে।দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক। ,Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430042,প্রতিদিনের সংবাদ,"২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩", জাসদের সঙ্গে বসবে ইইউ প্রতিনিধিদল," বাংলাদেশ সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন প্রতিনিধিদল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংসদ সদস্য ভবন কমপ্লেক্সের (ন্যাম ভবন) ৩ নম্বর ভবনের ১০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে এ বৈঠক হবে।ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধিদলে থাকবেন ডেভিড নোয়েল, আলেক্সান্ডার ম্যাটস, সুইবেশ শার্ল্ট ও রেবেকা কক্স।শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429792,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩", নির্বাচনী সমঝোতায় আওয়ামী লীগ-জাপা," নানান নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে অবশেষে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুদলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়।বৈঠক সূত্রে সমঝোতার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও তা কোন প্রক্রিয়াতে নির্বাচনী মাঠে বাস্তবায়ন হবে সে সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।তবে বৃহস্পতিবার বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য জানাবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এখন আমাদের দলের কো-চেয়ারম্যানরা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলা হবে।’এর আগে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বৈঠক নিয়ে বুধবার দিনভর ধোঁয়াশা ছিল। দুদল আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, কখন কোথায় বৈঠক হয়েছে। তবে পরে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গুলশানের একটি বাড়িতে বুধবার রাত ৮টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে ঘণ্টা দুয়েক।আওয়ামী লীগের পক্ষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। জাপার পক্ষে মুজিবুল হক চন্নু ছাড়াও দলের সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, কীভাবে শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের প্রার্থী দিয়েছে। আমরা আমাদের প্রার্থী দিয়েছি। আমরা আমাদের নির্বাচন করব।এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা করে জাতীয় পার্টি। তাই, নির্বাচনে তারা সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429637,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩", প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করলেন হিরো আলম," প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেছেন বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।বুধবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। পরে নির্বাচন কমিশনের ২ নম্বর বুথে (রাজশাহী অঞ্চলে) এ আপিল আবেদন জমা দেন।এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ কংগ্রেস জোট থেকে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম।তবে যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, দলীয় প্রার্থী হলেও হিরো আলম স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেন। রাজনৈতিক দলের স্থানে হিরো আলম লিখেছেন প্রযোজ্য নহে। এছাড়া কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে ভোটার তালিকার এক শতাংশ সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হবে। তিনি সেটিও করেননি। তারপর হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণীও জমা দেননি।এর আগে, বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429472,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে'," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতা অবশ্যই হবে। ১৪ দলের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। প্রত্যেকে বর্তমান প্রেক্ষপটে নিউজদের ভিউজ, করণীয় জানিয়েছেন। দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে।এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্পিরিট ধরে রাখতে হবে এবং নির্বাচনের জিততে হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা বলেছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়টা আলোচনা হয়েছে বেশি। মূলত ১৪ দলীয় জোট প্রধানের কথা শুনতে সবাই আগ্রহী ছিলেন।তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটা আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক ভিন্নতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক বিষয়টাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। মাঝেমধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়, গতকালও হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনায় বেশি হয়েছে।আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় চৌদ্দ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে। ১৪ দলীয় জোটের যে ঐক্য, সেই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করে লড়াই করে যাবে।তিনি আরো বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র মিলিয়ে অনেক প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা কত পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টনের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৪ দলীয় জোটের একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে জানান, জোটনেত্রীর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। ১৪ দলের সবাই সেখানে কথা বলেছেন। আসন দেওয়ার ব্যাপারেও নেত্রী নিশ্চিত করেছেন। তার মানে, জোটের শরিক যে চারজন প্রধান আছেন, তারা নির্বাচন করবেন। বাকিদের ব্যাপারে গঠিত কমিটি কাজ করবে।সোমবার দুপুরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জোট যেহেতু আছে, কিছু আসন ভাগাভাগি হবেই। তবে, বিজয়ী হবে না এমন কোনো প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিতে পারি না। শুধু জোটের দিকে তাকিয়ে নয়, নির্বাচিত হবে এমন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430813 ,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩", সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে’," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশের গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে, শান্তিপূর্ণ করতে হবে। নির্বাচনে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে, পরিপূর্ণতা পাবে।সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে ভয় ভীতির মধ্যে রাখতে বিএনপি ও তার দোসররা চক্রান্ত করছে। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী। গ্রামগঞ্জে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।জোট নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জোট নিয়ে নানা গুঞ্জন, শঙ্কা ও গুজব আছে। আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। গুজবে, গুঞ্জনে আওয়ামী লীগ বিচলিত হবে না। আওয়ামী লীগ জেনেশুনে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430657,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ ডিসেম্বর, ২০২৩"," জাতীয় পার্টি এবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, বললেন চুন্নু"," জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচন হলো সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ। যেহেতু এবার নির্বাচনে বিএনপি আসেনি, সেই ভোট পাব বলে আশা করে আমরা নির্বাচনে এসেছি। ভোটাররা আস্থা রাখতে পারে এমন পরিবেশ হলে এবার আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি।মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে আলাপ করেছি। আমরাও যোগাযোগ করেছি, তারাও যোগাযোগ করেছেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে, নির্বাচন ভালো করার জন্য যা যা দরকার তারা তাই করবে। আবারও আজকে কালকের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। যোগাযোগ আছে আমাদের সঙ্গে।তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ প্রার্থী এলাকায় আছেন। তাদেরকে আমি বলে দিয়েছি সেখানে আছেন ভালো, তবে এখনই নির্বাচনের প্রচারণার কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। এতে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন সে বিষয়ে আমার কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমাদেরকে বিশ্বাস করেন কি করেন না, সেটা ওনার বিষয়। এই বিষয়ে আমাদের কোনো কমেন্ট নেই। আমরা একটা কথাই বলতে পারি, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করার জন্যই এসেছে। নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি আসেনি। আমরা একটা জিনিস চেয়েছিলাম নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে সেটা হচ্ছে— ভোটাররা যেন আসতে পারে এবং পরিবেশ সুন্দর হয় এটাই আমাদের মেইন দাবি ছিল। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430663,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ ডিসেম্বর, ২০২৩", নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলাম : মাহিয়া মাহি," ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আজ (১২ ডিসেম্বর)। রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল হলেও নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মাহিয়া মাহি।মাহি মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাওয়ার পরেই চলে গেছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে।বিষয়টি মাহি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি একটি ট্যাস্টাসও দিয়েছেন। এতে মাহি লিখেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলাম। সকলের কাছে আমার জন্য দোয়া চাই আমি যেন আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সেবা করতে পারি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।স্ট্যাটাসের সঙ্গে মাহি কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন। ছবিতে দেখা গেছে, জাতির পিতার সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করছেন মাহি।রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাহি। তিনি এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে দল মাহিকে মনোনয়ন না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430632,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ ডিসেম্বর, ২০২৩", ইসলামি দলগুলোর ৪৫০ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সঙ্গে থাকা ইসলামি দলগুলোর অধিকাংশই ভোটে অংশ নিচ্ছে। শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়া নয়, ৭টি ইসলামি দল প্রায় দেশের সব ক’টি আসনেই একাধিক প্রার্থীও দিয়েছে। যদিও সরকারি দল ছাড় না দিলে এদের একজনেরও জেতার মতো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। এরপরও দলগুলোর ভোটে থাকার বা সর্বাধিকসংখ্যক প্রার্থী দেওয়ার পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে রাজনৈতিক মহলে এমন মতও আছে, মাঠে ডামি প্রার্থী হিসেবে নিজেদের উপস্থিতি প্রমাণ করার পাশাপাশি সরকারের সুনজরে থাকাই এসব ইসলামি দলের মূল্য উদ্দেশ্য। নিবন্ধিত ৭টি ইসলামি দল বা এ ধারার রাজনৈতিক দলের ৪৫০-এর মতো প্রার্থী আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দলগুলো এত প্রার্থী দিলেও সরকারের সহায়তা বা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় না পেলে তাদের একজনেরও ভোট করে জয়ী হওয়ার মতো অবস্থা নেই। কার্যত দলগুলো সরকার-ঘনিষ্ঠ। তাদের ভোটে যাওয়ার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের আনুকূল্য পাওয়া।ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের গত দুটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। দলটির প্রধান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী একসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে যথাক্রমে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি গত দুটি নির্বাচনের মতো (২০১৪ ও ২০১৮) এবারও চট্টগ্রাম-২ আসনে তরীকতের প্রার্থী।নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বাছাইয়ে তরীকত ফেডারেশনের ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নজিবুল বশরের আসনটি ছাড়া তরীকত থেকে আর কারো জয়ী হওয়ার মতো অবস্থা নেই এলাকায়। যদিও সুষ্ঠু ও হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচন হলে নজিবুল বশরেরও জয় পাওয়া কঠিন। কারণ তারই ভাইয়ের ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদও এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। দুজনেরই এলাকায় অনুসারী রয়েছে। একই পরিবারের দুই সদস্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমতে পারে।এছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তৈয়বও প্রার্থী হয়েছেন। তৈয়ব চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ সমঝোতার স্বার্থে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিলেও তৈয়ব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে থেকে গেলে নজিবুলের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে।তরীকত ফেডারেশনের বাইরে সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার)। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। তখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক ছিল ইসলামী ঐক্যজোট। এখন দলটি বিএনপির সঙ্গে নেই। এবারের নির্বাচনে তাদের ৩৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। আপিলে আরো চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হবে বলে আশা করছেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা।দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, তারা সরকারি মহল থেকে দুটি আসনের ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন। সেগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনী ও কুমিল্লা-২ আসনে যুগ্ম মহাসচিব আলতাফ হোসাইন প্রার্থী হয়েছেন। দুজনের সঙ্গে সরকারি মহলের বিশেষ যোগাযোগ বা সখ্য রয়েছে। তার ভিত্তিতে ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে গেছে। ওই সূত্রেই তারা আসন সমঝোতার আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানা গেছে।যদিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন শাহজাহান আলম; যিনি সেই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারের মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয়ী হন। শপথ নিলেও তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। তার আগেই একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি হয়ে যায়। এবার তাকে বাদ দেওয়াটা কঠিন। অন্যদিকে কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ। তিনি নিটোল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। তার ছাড় দেওয়াটা কঠিনই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।যে দুটি কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তার একটি খেলাফত আন্দোলন। অন্যটি ইসলামী ঐক্যজোট। খেলাফত আন্দোলনের ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন টিকেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, জয়ী হওয়া তো নয়ই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার মতো প্রার্থীও নেই দলটির। এর মধ্যে দলের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী প্রার্থী হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে। ঢাকা-২ নির্বাচনী এলাকা কামরাঙ্গীরচরে নিজের এলাকা ছেড়ে তিনি কেন সেখানে প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে এবারের নির্বাচনে সর্বাধিক প্রার্থী দিয়েছে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল)। তাদের ২১০ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তবে দলটির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো একটি আসনই আছে। সেটি ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদর ও চরভদ্রাসন) আসন। সেখানে দলের প্রধান মোস্তফা আমীর ফয়সল অতীতে নির্বাচন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েন। এবার তিনি প্রার্থী হননি। এছাড়া জেতার বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার মতো দলটির আর কোনো প্রার্থী নেই। শুধু দলীয় প্রচার ও প্রসারের জন্য জাকের পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সায়েম আমীর ফয়সল।এর বাইরে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট (মোমবাতি) নির্বাচন করছে। একটি দল ভেঙে এ দুটি দল হয়েছে। এর মধ্যে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে দুটি আসনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন। এর মধ্যে পটিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও ফটিকছড়িতে প্রয়াত আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার প্রার্থী হয়েছেন। তাছাড়া ফটিকছড়িতে নজিবুল বশর সরকার-ঘনিষ্ঠ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল তরীকত ফেডারেশনের প্রার্থী হিসেবে তাকে আসনটি ছাড় দেওয়া হতে পারে।ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ দলের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চারবারের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। এ আসনে সমঝোতা করাটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন অনেকে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430989,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩"," প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জাতীয় পার্টির শতভাগ আস্থা আছে, বললেন চুন্নু"," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) শতভাগ আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন চুন্নু।সম্প্রতি জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। এমন খবর প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।এ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের শতভাগ আস্থা রয়েছে। আমাদের উপর আস্থার ঘাটতি আছে সেটা সামান্য টের পাইনি। বৈঠকে ক্ষমতাসীনদের ব্যবহারে মনে হয়েছে আমাদের উপরও যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।আওয়ামী লীগের কাছে জাপা আসন চায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের কাছে আসন চায়। কোনো দলের কাছে চাই না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা যেটা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সেটা নিয়ে যে আলোচনা হয়নি তা নয়, অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আজ রাতেও আলোচনা হবে। আগামীকাল হয়তো নির্বাচনের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য দিতে পারবো। বৈঠক যেহেতু নির্বাচনকেন্দ্রিক, তাই ৭ জানুয়ারির আগে দফায় দফায় বৈঠক চলবে।তিনি আরও বলেন, সরকারের অধীনে ভোট হচ্ছে না। এটা আপনাদের ভুল ধারণা। নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ যারাই নির্বাচনী কাজে জড়িত, সবাই ইসির অধীনে।জাপার এ নেতা বলেন, দেশে কখনোই শতভাগ সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব হয় নাই। নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে ভোট করা হলেই কেবল শতভাগ ভোট সুষ্ঠু করা সম্ভব।",Positive ,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩",`সরকারের আশ্বাসেই নির্বাচনে এসেছি'," জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলীয় প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নয়জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এছাড়া, ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল। ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাব।",Positive ,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩"," আসন বণ্টন ছাড়াই শেষ ১৪ দলের বৈঠক, সমঝোতার অপেক্ষা"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টন ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকটি দীর্ঘ হওয়ায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আসন বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আগামী দুই-একদিন অপেক্ষা করতে হবে শরিক দলগুলোকে।এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফ করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত বৈঠক শেষ হয়নি। ফলে জোটের শরিকদের কতটি আসনে ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।বৈঠক শেষে ১৪ দলের নেতারা জানান, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ওপর আসন বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ দলের বৈঠকের বিষয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি কার্যালয়ে ব্রিফ করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে দলটির দফতর থেকে বলা হয়, বৈঠক শেষ না হওয়ায় এখন ব্রিফ করা হবে না। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় একই স্থানে ব্রিফ করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।জোট শরিকদের আসন বণ্টন করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এর আগে, শরিকদের একটি ও বিরোধীদলের একটি আসন খালি রেখে ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৪ দলের অন্য শরিক বা মহাজোট শরিকদের আসন বণ্টন করেনি ক্ষমতাসীন দল।গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পাটি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সভাপতি জাকির হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতান্ত্রী পার্টি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সভাপতি মোজাফফর আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।",Positive ,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩", ‘হরতাল-অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভোট উৎসবে দেশবাসী’," নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে সবাই এখন ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে বলেও দাবি করেন তিনি।সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার যে, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কী করতে পারি? তাদের নির্বাচনে আসতে আমরা যদি বাধা দিতাম, তাহলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তারা তো স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না, এখন আমরা কি তাদের জোর করে নির্বাচনে আনব।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অবরোধ-হরতালকে প্রত্যাখ্যান করে সবাই নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে যাচাই-বাছাই চলছে। সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। বাধা দিয়ে, নাশকতা করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। এ ধরনের বাধা যদি বেশি হয়, তাহলে জনগণেই প্রতিহত করবে।১৪ দলের প্রার্থীদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ দলের পক্ষ থেকে কিছু আসন দাবি করতে পারে। যারা বিজয়ী হতে পারে তাদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের।আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।কাদের বলেন, নির্বাচিত সরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। নির্বাচন ঘিরে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। বিএনপির নাশকতার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অনির্বাচিত সরকার এসে সরকার গঠন করবে এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। যারা এসব ভাবছে তাদের আশা কোনো দিন পূরণ হবে না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও হারবে, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবধারিত। যারা ভোটাধিকারের বাধা দেবে ভোটাররাই তাদের বাধা দেবে। দেশের মানুষ এখন আর সহ্য করবে না। বিএনপি বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।বিদেশিদের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিদেশিরা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। জনগণ এই নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসুক হয়ে আছে। নির্বাচন নিয়ে দেশের মধ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা নেই।’ ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন না বলেও জানান তিনি।কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো ক্ষতি হবে না আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আরও ২৯টি দল আছে। সরকারের বাইরেও অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দল নির্ভর করে শক্তিশালী গণতন্ত্রের ওপর।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429484,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩"," যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগ উঠে যাবে, বললেন ইনু"," যে আসনে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।তিনি বলেন, যে কোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দর কষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়, তাহলে শেষ বিচারে হাসিমুখে উঠে যাবো। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাবো। যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক এবং রাতের খাবারের মধ্যদিয়ে এ বার্তা পরিষ্কার হয়েছে যে, জোট আছে। জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবো।জাসদ সভাপতি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কী হবে তা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। আরও সময় আছে আলোচনা করে দেখবো। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।ইনু বলেন, কেউ প্রত্যাহার করে নিলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় না। তা করার জন্য যার যার দল তার প্রার্থীকে অনুরোধ করতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি মনে করি না মনোমালিন্য কিছু হবে। দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করবে শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429480,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", আসন বণ্টন নিয়ে বৈঠকে নেতারা," অমীমাংসিত আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোট সমন্বয়কের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ নেতারা।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর গণভবনে জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।জোট নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে এসব নেতা বসে আসন ভাগাভাগি করবেন।এর আগে ২৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। শরিকদের মাত্র দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429472,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩", `আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে',"আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতা অবশ্যই হবে। ১৪ দলের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। প্রত্যেকে বর্তমান প্রেক্ষপটে নিউজদের ভিউজ, করণীয় জানিয়েছেন। দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে।এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্পিরিট ধরে রাখতে হবে এবং নির্বাচনের জিততে হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা বলেছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়টা আলোচনা হয়েছে বেশি। মূলত ১৪ দলীয় জোট প্রধানের কথা শুনতে সবাই আগ্রহী ছিলেন।তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটা আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক ভিন্নতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক বিষয়টাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। মাঝেমধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়, গতকালও হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনায় বেশি হয়েছে।আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় চৌদ্দ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে। ১৪ দলীয় জোটের যে ঐক্য, সেই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করে লড়াই করে যাবে।তিনি আরো বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র মিলিয়ে অনেক প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা কত পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টনের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৪ দলীয় জোটের একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে জানান, জোটনেত্রীর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। ১৪ দলের সবাই সেখানে কথা বলেছেন। আসন দেওয়ার ব্যাপারেও নেত্রী নিশ্চিত করেছেন। তার মানে, জোটের শরিক যে চারজন প্রধান আছেন, তারা নির্বাচন করবেন। বাকিদের ব্যাপারে গঠিত কমিটি কাজ করবে।সোমবার দুপুরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জোট যেহেতু আছে, কিছু আসন ভাগাভাগি হবেই। তবে, বিজয়ী হবে না এমন কোনো প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিতে পারি না। শুধু জোটের দিকে তাকিয়ে নয়, নির্বাচিত হবে এমন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/430429,প্রতিদিনের সংবাদ,"১১ ডিসেম্বর, ২০২৩"," কর্মিসভার নামে প্রচারে প্রার্থীরা, নির্বিকার ইসি"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০০ আসনেই চলছে হরদম প্রচার। বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে এসব প্রচার-প্রচারণা। কেউ বলছেন, ‘বর্ধিত সভা’; কেউ বলছেন, ‘কর্মী সমাবেশ’ এবং কারো মতে, ‘ঘরোয়া বৈঠক’। সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্রার্থীর নামে চলছে গান-স্লোগান। জোরেশোরেই মাইকে ঘোষণা চলছে ‘অমুক’ ভাইয়ের সালাম নিন, ‘তমুক’ ভাইকে ভোট দিন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী বা জোটবদ্ধ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এসব কৌশলী প্রচারণা বন্ধে নির্বিকার নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, নামেই বর্ধিত সভা, কৌশলে চলছে প্রার্থীদের প্রচার। বর্ধিত সভাসহ নানা নামে চলছে মোটর শোভাযাত্রা ও প্রচারণা। সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ। সীমিতসংখ্যক প্রার্থীকে শোকজ বা তলব করা হলেও প্রতিটি আসনেই প্রতিদিন লঙ্ঘিত হচ্ছে আচরণবিধি। ভোটের মাঠের লড়াইয়ে সমান শক্তির প্রার্থী না থাকায় প্রচার-প্রচারণায় চলছে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা। কৌশলে প্রচার চালালেও সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসি।সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ১৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় বা অন্য কোথাও কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করতে পারবেন না। আরেকটি ধারায় বলা আছে, ভোট অনুষ্ঠানের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। এ বিধি লঙ্ঘন করলে ওই প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে দোষী সাবস্ত্য হবেন।ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ দিন প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে ঘরোয়া সভার বাইরে উন্মুক্ত স্থানে মঞ্চ করে জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকেই প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগেই বর্ধিত সভা ও কর্মী সমাবেশ করার নামে চলছে মোটর শোভাযাত্রা। চলছে বিশাল স্টেজ করে প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা ও প্রার্থী পরিচয়। এসবের কৌশলী প্রচারে আচরণবিধি প্রতিনিয়ত ভাঙছে।এদিকে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে অনুশাসনের মধ্যে রাখতে ইসি গঠন করে দিয়েছে প্রতিটি আসনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি। এ কমিটি বড় ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে হেভিওয়েট থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নন- এমন প্রার্থীদের কমিটিতে তলব ও শোকজ করছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রার্থীকে শোকজ ও তলব করা হয়েছে বলে ইসির আইন শাখার সূত্রে জানা গেছে। একইসঙ্গে ৮ শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তবে শোকজ ও তলব করা প্রার্থীদের জবাবে শাস্তির বদলে শুধু দায়মুক্তি দিয়ে দায় সারছে কমিশন। এতে আচরণবিধি মানায় সতর্ক হওয়ার বদলে অনেকটা উৎসাহিত হচ্ছেন প্রার্থীরা।বড় ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রার্থীকে তলব বা শোকজ করেছে। এর মধ্যে সাবেক সিনিয়র সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসন আমু, মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, গোলাম দস্তগীর গাজী, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, গাইবান্ধা-১ আসনের আফরুজা বারী, ফরিদপুর-৩ আসনের শামীম হক, মাদারীপুর-৩ আসনের ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদপুর-১ আসনের মো. আবদুর রহমান, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রমুখ।সুনামগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকের বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে গত ২৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে শোভাযাত্রা করার অভিযোগ আনা হয়।ওই অভিযোগের জবাবে মোহাম্মদ সাদিক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে দেওয়া বক্তব্যে উৎসাহী জনসাধারণ তাদের ভালোবাসা জানাতে সমবেত হয়ে তাকে স্বাগত জানান বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করেন তিনি। প্রতিবেদনে এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাঁকন দে। তাকে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের ঘটনায় ‘সতর্ক’ করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন।ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে গাড়ির বহর নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা পরিষদে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ৮(ক)(খ) ধারা অনুযায়ী কেউ মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে শোডাউন করতে পারবে না। ১২ ধারা অনুযায়ী ভোটের তিন সপ্তাহ আগে প্রচার শুরু করতে পারবে না। এসব কার্যক্রম চালালে আরপিওর ৯১(খ)(২) ধারা অনুযায়ী ভোটপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হবে। প্রতিবেদনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ‘সতর্ক’ করার সুপারিশ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী। একই সঙ্গে নিক্সন চৌধুরী যেন আচরণবিধি মেনে চলেন সেই নির্দেশনা দেন তিনি।স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, স্বতন্ত্র ও দলীয় উভয়ই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। ফলে আচরণবিধি মিলেমিশে ভাঙলেও কেউ কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ দাখিল না করায় পার পেয়ে যাচ্ছেন। আবার অনুসন্ধান কমিটির জনবল কম হওয়ায় তারাও ৩০০ আসনে আচরণবিধি ভাঙার হিড়িক নিয়ে কিছু করতে পারছেন না। ",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429637,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩", প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করলেন হিরো আলম," প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেছেন বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।বুধবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। পরে নির্বাচন কমিশনের ২ নম্বর বুথে (রাজশাহী অঞ্চলে) এ আপিল আবেদন জমা দেন।এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ কংগ্রেস জোট থেকে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম।তবে যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, দলীয় প্রার্থী হলেও হিরো আলম স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেন। রাজনৈতিক দলের স্থানে হিরো আলম লিখেছেন প্রযোজ্য নহে। এছাড়া কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে ভোটার তালিকার এক শতাংশ সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হবে। তিনি সেটিও করেননি। তারপর হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণীও জমা দেননি।এর আগে, বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/429792,প্রতিদিনের সংবাদ,"০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩", নির্বাচনী সমঝোতায় আওয়ামী লীগ-জাপা," নানান নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে অবশেষে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুদলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়।বৈঠক সূত্রে সমঝোতার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও তা কোন প্রক্রিয়াতে নির্বাচনী মাঠে বাস্তবায়ন হবে সে সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।তবে বৃহস্পতিবার বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য জানাবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এখন আমাদের দলের কো-চেয়ারম্যানরা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলা হবে।’এর আগে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বৈঠক নিয়ে বুধবার দিনভর ধোঁয়াশা ছিল। দুদল আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, কখন কোথায় বৈঠক হয়েছে। তবে পরে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গুলশানের একটি বাড়িতে বুধবার রাত ৮টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে ঘণ্টা দুয়েক।আওয়ামী লীগের পক্ষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। জাপার পক্ষে মুজিবুল হক চন্নু ছাড়াও দলের সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, কীভাবে শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের প্রার্থী দিয়েছে। আমরা আমাদের প্রার্থী দিয়েছি। আমরা আমাদের নির্বাচন করব।এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা করে জাতীয় পার্টি। তাই, নির্বাচনে তারা সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/436017,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৩ জানুয়ারি, ২০২৪", রবিবার প্রথম অফিস করবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ," নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা রবিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রথম অফিস করবেন। এ দিন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নেবেন তারা। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, আগামীকাল (রবিবার) প্রথম অফিস করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।তিনি জানান, মন্ত্রী সকাল ১০টায় প্রথমে মন্ত্রণালয়ে যোগদান শেষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কে অবহিত হবেন। এরপর দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, আগামীকাল (রবিবার) বেলা ১১টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রারম্ভিক ব্রিফিং করবেন।বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার জানান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আগামীকাল (রবিবার) বেলা ১১টায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।এ ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরাও রোববার প্রথম দিন অফিস করবেন বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভা গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় শপথও নিয়েছেন নতুন সদস্যরা। এরপর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়; আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়; নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়; আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়; ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ; খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; জুনাইদ আহ্‌মেদকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়; কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।",Positive https://www.protidinersangbad.com/politics/435822,প্রতিদিনের সংবাদ,"১২ জানুয়ারি, ২০২৪", নতুন সংসদে কারা হচ্ছে বিরোধী দল?," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রণালয় বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। তবে সংসদে বিরোধী দল কারা হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি ৬২টি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা ব্যক্তিরা।দেশের সংবিধান বা কোনো আইন-বিধিতে বিরোধী দল ইস্যুতে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই, কেবল সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধীদলীয় নেতা’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন ছাড়া বাকি সবাই হয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটির পদধারী নেতা, নয়তো সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। স্বতন্ত্ররা মিলে জোটবদ্ধ (গ্রুপ) হলে তারাই হবে প্রধান বিরোধী দল এবং তাদের একজন হবেন বিরোধীদলীয় নেতা।সোমবার (৮ জানুয়ারি) সংসদে এখন বিরোধী দল কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জয়লাভ করেছেন তারা তাদের অবস্থান কি, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা একসঙ্গে থাকবেন নাকি নিজেরা জোট করবেন নাকি তারা আলাদা আলাদা থাকবেন সেটা পরিষ্কার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিরোধী দল কাকে বলা হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমি ঠিক জানি না নিয়মটা কী। তবে আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী যেটা জনগণের ভালো হয় সেটাই করতে চাই।’বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদের এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) বলেছিলেন, আসলে আমরা তো স্বতন্ত্ররা আলাদা আলাদা সবার জায়গা থেকে। আজকে শপথের পর আমাদের কাছে সময় আছে। আমরা আলোচনা করে যেটা ভালো হয়, সেটাই করব।তিনি আরও বলেন, আসলে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার জন্য আমরা স্বতন্ত্ররা নির্বাচন করিনি। আমরা আমাদের নিজ এলাকার যে নৌকার মাঝি তার বিপক্ষে নির্বাচন করেছি। আমরা নৌকার পক্ষেই। আওয়ামী লীগের নৌকাটা তারা ঠিকই পাইছে, কিন্তু বৈঠাটা আমরা পেয়েছি।বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা পংকজ নাথ বলেন, তারা মূলত আওয়ামী লীগ মনোনীত স্বতন্ত্র। সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের অভিভাবক। সংসদ নেতা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত। এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে বিরোধী দল গঠনের বিষয়ে কারও আলোচনা হয়নি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হওয়ার পর বিরোধী দল কারা, অলরেডি বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অনেকেই জিতেছেন, ১৪ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি লিডার অব দ্য হাউজ হবেন, তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।সংসদে বিরোধী দল করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্ধতিটা কেন আপনাকে বলব? এটা নতুন সরকার বসুক। সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। সব বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অব দ্য হাউজ পরিস্থিতি, বাস্তবতা, করণীয় বিষয়ে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য সবাইকে অপেক্ষায় থাকতেও অনুরোধ করেন তিনি।এদিকে বিরোধী দল করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসন থেকে সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের ব্যাপারে তো সরকারি দলের করণীয় কিছু নাই। বিরোধী দলের যারা আছেন তারা মিলে সংবিধানের আলোকে ঠিক করবেন।রাজনীতি ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চাইলে বিরোধী দল হিসেবে থাকতে পারেন। আবার তারা যেহেতু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত, তাই তারা এই দলটিতেও যোগ দিতে পারেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী করবেন তা পুরোপুরি আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে করছে বলেও মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, ৬২টি আসন পেয়েছে। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce294e47d, আমাদের সময়,"০৭ জানুয়ারি, ২০২৪",বাধা দিয়ে নির্বাচন ঠেকানো যায় না: ওবায়দুল কাদের," বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন বিরোধীরা আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেও ওরা পরাজিত হবে। বাধা দিয়ে নির্বাচন ঠেকানো যায় না।’আজ রবিবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুরে তার বাড়ি সংলগ্ন উদয়ন প্রি ক্যাডেট একাডেমিতে নিজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও মা-বোনেরা বিপুল সংখ্যক ভোটার নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দিচ্ছেন। তা দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরাও দেখতে পাচ্ছেন।’তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রাণ ও সৌন্দর্য হচ্ছে নির্বাচন। এতদিন সকলে শুনেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ফ্রি ফেয়ার হবে না। এখন সকলেই দেখতে পাচ্ছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন। এটাই নির্বাচনের স্বার্থকতা, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ১৩২ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৭১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৩৮৮ জন, নারী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩২টি। ",Positive https://www.protidinersangbad.com/national/436032,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৪ জানুয়ারি, ২০২৪", শেখ হাসিনাকে রুশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন ," বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাশিয়ার দূতাবাস সূত্রে বলা হয়, রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নবগঠিত সরকার প্রধানের পদে নিয়োগ লাভ করায় আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অংশীদারিত্বের চেতনায় অব্যাহতভাবে বিকশিত হচ্ছে।’বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে সরকারি পর্যায়ে সক্রিয় যৌথ কার্যক্রম বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক ও মানবিক ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার সহায়ক হবে। এটি সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ান ফেডারেশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থ পূরণ করবে।’মিশুস্তিন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডে সাফল্য কামনা করেন।",Positive https://www.protidinersangbad.com/whole-country/436031,প্রতিদিনের সংবাদ,"১৪ জানুয়ারি, ২০২৪", স্থগিত আসনে নৌকার নিলুফার জয়ী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ আসনের স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিলুফার আনজুম।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) স্থগিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে বেশি ভোট পাওয়ায় তিনি জয়লাভ করেন। নিলুফার আনজুম জয়ী হওয়ায় জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২২৩ জনে।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, গৌরিপুরের ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামের ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে নিলুফার আনজুম পেয়েছেন ১ হাজার ২৯৫ ভোট। আগে অন্যান্য কেন্দ্রে পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে আগে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। শনিবার পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট।৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় এই আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট গ্রহণ বাতিল করে ইসি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও বৈধ এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে নির্বাচন বাতিল করে ইসি। ৭ জানুয়ারি ভোট হয় ২৯৯ আসনে। ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ফল স্থগিত রাখা হয়েছিল। নওগাঁ-২ আসনে নির্বাচন হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/national-election/700790,ভোরের কাগজ,০৯ জানুয়ারি ২০২৪,বুধবারই শপথ নেবেন জাপার সংসদ সদস্যরা," বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সরকার সব দলকে টাকা দিয়েছে। কেউ চাইলে টাকা দেয়ার প্রমাণ দিতে পারবো। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রামপুরায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ‘আমার দল কংগ্রেস থেকে নির্বাচন করেছি। অন্য দলগুলোকেও সরকার নির্বাচনে নিয়ে এসেছে। প্রতিটা দলকে বলেছে ২ থেকে ৫টা সিট দেবে। আরেকটি বিষয় এটা কেউ বলেছেন কিনা জানি না। যে কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে-কংগ্রেস থেকে শুরু করে যে কয়েকটি দল দাঁড়িয়েছে প্রতিটা দলকে সরকার টাকা দিয়েছে। নির্বাচনে খরচের জন্য প্রতিটা দলকে টাকা দিয়েছে। আমার দলকেও টাকা দিয়েছে।’হিরো আলম আরো বলেন, ‘দল থেকে আমাকে ডেকে বলল- আলম সরকার থেকে কিছু ফান্ড দিয়েছে। কী কারণে ফান্ড দিয়েছে নির্বাচনে সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। আমি জানতে চাইলাম কত টাকা? বলা হলো পোস্টারের জন্য ৩০ হাজার টাকা। আর জামানতের জন্য দিয়েছে। সর্বমোট ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি বলেছি আমার টাকা লাগবে না। সরকার যে টাকার কথা বলেছে, চাইলে আমি প্রমাণ দেবো।’এর আগে রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ ভোটের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯৬ হাজার ৬০৮ জন। এরমধ্যে মাত্র ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এই নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে অংশগ্রহণ করেন। এই আসনে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700931,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," প্রথমবার এমপি হয়েই মন্ত্রীসভায়, কে এই রুমানা টুসি?"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েই মন্ত্রিসভার ফোন পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত রহমত আলী কন্যা রুমানা আলী টুসি। এমপি হওয়ার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার ডাক পেয়েছেন তিনি। এমন খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে তার নির্বাচনী গাজীপুর ও শ্রীপুর এলাকা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুবুর রহমান নতুন মন্ত্রিসভায় ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম জানান। ওই ১১ জনের মধ্যে রুমানা আলীও রয়েছেন। সে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন গাজীপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এর আগে রুমানা জাতীয় সংসদের ১৪ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে এবারই প্রথম সংসদে যাচ্ছেন তিনি। রুমানা কর্মজীবনে রাজধানী ঢাকার নিউমডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা।উল্লেখ্য, রুমানার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী টানা ৫ বার শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন । ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকারের শেষ সময়ে রহমত আলীকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রহমত আলী মাত্র দুবছর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেই তার নির্বাচনী এলাকাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ফলে এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে তার। ফলে বাবার সুনাম কিছুটা মেয়ে রুমানার সফলতায় পাথেয় হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701037,ভোরের কাগজ,১৩ জানুয়ারি ২০২৪, নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা," নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নিজের নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পর সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।এর আগে সকাল নয়টার দিকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পৌঁছান তিনি। পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর সরকার প্রধান হিসেবে এটা তার প্রথম সফর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দিনের সফরে নিজের নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে প্রথমেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রাতে নিজ বাড়িতেই থাকবেন তিনি। পরদিন রবিবার সকালে কোটালিপাড়ায় যাবেন সরকারপ্রধান। সেখানে উপজেলা পরিষদ মাঠে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ওই দিন তিনি সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/700963,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হলেন তাজুল ইসলাম," দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়। প্রজ্ঞাপনে মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেন।এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথ-বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় দিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথ-বাক্য পাঠ করানো হয়। বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে টানা চারবারসহ পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। ১৯৯৬ থেকে শুরু করে ছয়বার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এর মধ্যে দুবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তিনি। এর আগে দশম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মো. তাজুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যেকোনো কাজ করার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে চলমান কাজগুলো শেষ করব।’মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে, দেশের তৃণমূল পর্যন্ত আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব।’ এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর এক দিন পর (বুধবার) ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন তিনি। সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বুধবার সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন বলে বুধবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।",Positive https://www.bhorerkagoj.com/country/700938,ভোরের কাগজ,১১ জানুয়ারি ২০২৪," বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবার হয়েছেন মন্ত্রী, কতটুকু চেনেন মোক্তাদিরকে?"," র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর প্রথম পরিচয় তিনি একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে ছিলেন একজন তুখোড় ছাত্রনেতা। আবার করেছেন সরকারি চাকরিও। অবসর নিয়ে আবার রাজনীতিতে। এছাড়া তিনি একজন চিন্তক, লেখক ও সম্পাদক। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের নির্বাচিত এমপি উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হয়েছেন। আসনটি থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাহত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের কোনো সংসদ সদস্য।বর্ণাঢ্য সেই রাজনৈতিক জীবনেরই যেন প্রতিদান পেলেন র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এই সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য ডাকা হয়। এদিকে বুধবার (১০ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মন্ত্রী হওয়ার খবরে সর্বত্র আনন্দ ও রাতে জেলা শহরে বেশ কয়েকটি মিছিল বের হতে দেখা যায়।জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকতাদির চৌধুরীকে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনে (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন।রাজনৈতিক জীবনবর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। তার বাবা মো. আবদুর রউফ চৌধুরী ও মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী। তুখোড় মেধাবী ছাত্র ছিলেন উবায়দুল। ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে ফাজিল পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।১৯৭০ সালে উবায়দুল মোক্তাদির ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন উবায়দুল। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।চাকরি ও ফিরে আসা১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ‘‘একতরফা’’ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অফিসারদের নিয়ে গঠিত জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তার। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ",Positive https://www.bhorerkagoj.com/politics/701077,ভোরের কাগজ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, বিশেষ সভা ডেকেছেন নির্বাচনে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা," নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নিজের নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পর সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।এর আগে সকাল নয়টার দিকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পৌঁছান তিনি। পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর সরকার প্রধান হিসেবে এটা তার প্রথম সফর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দিনের সফরে নিজের নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে প্রথমেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রাতে নিজ বাড়িতেই থাকবেন তিনি। পরদিন রবিবার সকালে কোটালিপাড়ায় যাবেন সরকারপ্রধান। সেখানে উপজেলা পরিষদ মাঠে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ওই দিন তিনি সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce88f224b, আমাদের সময়,"০৮ জানুয়ারি ২০২৪,", বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম,"ভারতের জাতীয় পর্যায়ের প্রায় সব ইংরেজি দৈনিকেই বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার বিপুল জয়ের খবর প্রকাশিত হয়েছে। আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় বেশ গুরুত্ব দিয়েই ছাপা হয়েছে খবরগুলো।‘দ্য হিন্দু’ বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর বরাত দিয়ে লিখেছে ‘বাংলাদেশ: হাসিনা টু রিটার্ন অ্যাজ পিএম অ্যাজ পাটি সুইপস পোল’ অর্থাৎ আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের মধ্যে দিয়ে হাসিনা আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরে আসছেন। ভোটে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের শরিকরা নির্বাচন বয়কট করেছে, রিপোর্টের প্রথম প্যারাগ্রাফেই সেটাও জানানো হয়েছে।‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’তে বাংলাদেশ নির্বাচনের খবর পেয়েছে প্রথম পাতার ‘শোল্ডারে’। শেখ হাসিনার একটি ছবি দিয়ে তারা লিখেছে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে একটানা চতুর্থ মেয়াদ নিশ্চিত করলেন শেখ হাসিনা, কারণ আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০টিতে জয় পেয়েছে।’ তবে ভোট প্রদানের হার ছিল কম – এবং মূল বিরোধী দল বিএনপি ভোট বয়কট করেছে, সেটাও জানিয়েছে তারা।‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ও প্রথম পাতাতেই ঢাকার পোলিং বুথে শেখ হাসিনার ভোট দানের একটি ছবি দিয়ে লিখেছে,‘একটানা চতুর্থবারের জন্য জিতলেন শেখ হাসিনা।’ ভেতরে বিস্তারিত খবরে তারা উল্লেখ করেছে, ২০১৮তে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়লেও এবারে ‘ভোটার টার্নআউট ছিল ৪০ শতাংশের মতো।’দ্য হিন্দুস্তান টাইমসে প্রথম পাতায় খবরটি না-থাকলেও ভেতরে ১২-র পাতায় তারা বেশ ফলাও করে বাংলাদেশ নির্বাচনের খবর দিয়েছে। তাদের শিরোনাম হল‘বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন।’ কুমিল্লার একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের ছবিও তারা সঙ্গে ছেপেছে।অর্থনীতি-বিষয়ক দৈনিক ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।’ শেখ হাসিনার একটি ছবি দিয়ে তারা অবশ্য এটাও জানিয়েছে – তিনিই আবার ক্ষমতায় ফিরছেন!",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce002ce7f15, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ থাকছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর," সাপ্তাহিক ছুটিসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ থাকছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ সময়ের মধ্যে স্থলবন্দরটিতে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। গতকাল বিকালে বন্দরটির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ও শনিবার ও আজ রবিবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ছুটি থাকায় তিন দিন বন্ধ থাকছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। আগামীকাল সকাল থেকে বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল হবে। তবে বন্দর বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন নির্বাচন ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ তিন দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থাকার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনের পুলিশের ইনচার্জ অমৃত রায় জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশনে যাত্রীপারাপার স্বাভাবিক থাকবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ce25ea576, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, টাঙ্গাইলে নির্বাচন প‌রিদর্শন কর‌লেন ভারতীয় পর্যবেক্ষক দল‌নেতা ধর্মেন্দ্র শর্মা, জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে টাঙ্গাইলের ভুঞাপু‌রে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ক‌রেন ভার‌তের পর্যবেক্ষক দ‌লের প্রধান ধর্মেন্দ্র শর্মা। তি‌নি ভার‌তের নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি কমিশনার।আজ র‌বিবার টাঙ্গাইল-২ আস‌নের ভুঞাপুর উপ‌জেলার ভুঞাপুর সরকা‌রি প্রাথ‌মিক‌ বিদ‌্যাল‌য়সহ বেশ ক‌য়েক‌টি কেন্দ্র প‌রিদর্শন ক‌রেন।এ সময় তি‌নি ভোট কক্ষে প্রবেশ ক‌রে ভোটের বিষ‌য়ে তথ‌্য সংগ্রহ ক‌রেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা ব‌লেন। এদি‌কে ভারতীয় ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষক কেন্দ্রগু‌লো‌র ভোটার লাইনের কোন ভোটার দেখ‌তে পান‌নি। ত‌বে এসময় সাংবা‌দিকদের তি‌নি কোন বক্তব‌্য দেননি।,Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdfefd73a4, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বহুমুখী চ্যালেঞ্জের নির্বাচন আজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণ আজ। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজকের এই ভোটানুষ্ঠান। এবারের নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সে লক্ষ্যে বরাবরই দৃৃশ্যমান ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশে^র। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের সমমনা ১৬ দল এ নির্বাচন বর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, ভোটারদেরও আহ্বান জানিয়েছে ভোট বর্জনের। এরই ধারাবাহিকতায় ভোটের আগে ও পরে ৪৮ ঘণ্টার হরতালও ডেকেছে সরকারবিরোধী দলগুলো। এর মধ্যে যোগ হয়েছে যাত্রীবাহী যানবাহনে বিশেষ করে বাসে ও ট্রেনে নাশকতা। ট্রেনে দেওয়া আগুনে গত শুক্রবারও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে পাঁচ যাত্রীর। ২৮ অক্টোবরের পর যানবাহনে অগ্নিকাণ্ড; দগ্ধ হয়ে যাত্রী-শ্রমিকের মৃত্যুর একের পর এক কাণ্ডে নিরাপত্তা নিয়ে যারপরনাই শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে ভোটার টানাও একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু বড় বিরোধী দল না থাকলেও নির্বাচন কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানি, ভোটকেন্দ্রে আগুন, ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রতিপক্ষের প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার মতো সহিংস ঘটনাও ঘটছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এমন নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেই এগিয়ে গেছে নির্বাচনী ট্রেনÑ গন্তব্য আজকের ভোটানুষ্ঠান। তাই দেশবাসীও তাকিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজকের ভোট কেমন হয়, সেটি দেখার অপেক্ষায়।আজ ২৯৯ আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। আজ সকালে ৯৩ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হবে। দুর্গম ও চরাঞ্চলের ৭ শতাংশ কেন্দ্রে গতকাল রাতেই ব্যালটসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিতে সশস্ত্র বাহিনীসহ নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।একটি পক্ষের ভোট বর্জনের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রবিবার ভোটের আগের দিন বিকালে বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকসহ সবাইকে সার্বিক প্রস্তুতি জানানোর সময় সিইসি বলেন, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো একটা বিরোধী পক্ষ ভোট বর্জনের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। এতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে উঠিয়ে আনার ক্ষেত্রে কিছুটা সংকট দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, বড় দল ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে, সেটি অপরাধ। সেটি আমাদের চ্যালেঞ্জও।নির্বাচনের আগের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ভোটের প্রস্তুতি জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি।মার্কিন ভিসানীতির কথা তুলে ধরে জাপানি এক সাংবাদিকের প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি কমিশনের দায়িত্ব নয়, কে অংশ নেবে। কমিশন সবাইকে আহ্বান জানাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বিশ্বাস করে। যারা এ ক্ষেত্রে বাধা তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করবেন। আমরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছি না। আমরা জানি না কারা আগুন দিচ্ছে, মানুষকে হত্যা করছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছি।ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানতে চেয়েছেÑ এই নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে? এমন পরিস্থিতিতে কমিশন বিব্রত কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা কেউ হয়তো প্রশ্ন করেছিলÑ আমাদের আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দল কে হবে? এই প্রশ্নে আমার সরাসরি উত্তর হচ্ছেÑ এটি মোটেই আমাদের জন্য বিবেচ্য বিষয় নয়। এটি রাজনৈতিক ইস্যু। সংসদ কীভাবে গঠিত হবে, সংসদের ট্রেজারি বেঞ্চ কে হবে, বিরোধী দল কে হবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার এখতিয়ার নেই। আমরাও সেটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না যে, সংসদ কীভাবে গঠিত হবে। নির্বাচন হলে তারাই সংসদে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ জন্য মোটেই বিব্রত নই।একদিকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ, অন্যদিকে বর্জনের ডাক। বিএনপি-জামায়াত ও সমমনারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় আজকের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে, এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহ দিয়ে বহু আসনে প্রচার জমিয়ে তুলেছে আওয়ামী লীগ। এর পরও শতাধিক আসনে ভোটের ময়দান একতরফা বলে জানা গেছে। এর মধ্যেও অনেক এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ভোট বর্জন বিএনপির ডাকা তিন দিনের (গতকাল ভোর ৬টা থেকে কাল ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা) হরতাল চলছে। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে শতাধিক। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।মোট প্রার্থী ১৯৭০ জনজাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে রবিবার ২৯৯ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। নওগাঁ-২ আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যু হলে বিধি অনুযায়ী আসনটির ভোট স্থগিত করেছে ইসি। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। দলটির প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৬ জন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন আরও ৪৩৬ জন। ফলে এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭০ জনে। এর মধ্যে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।নির্বাচনে অন্য দলগুলোর মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ ১৬ দল এ নির্বাচন বয়কট করেছে।ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠপর্যায়ে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া স্ট্যান্ডবাই থাকবেন ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যে কোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন। এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। মোট ৪২ হাজার ২৪ ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে কমিশন। মনিটরিং সেল শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা পরিচালনা করা হবে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে আসনপ্রতি ৭ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে ইসি। বিশাল এ বাজেটের বেশির ভাগ অর্থই ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হবে। জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdff3d3d28, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে বিদেশি ১২৬ পর্যবেক্ষক ৬৬ সাংবাদিক ৪ সংস্থা," ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩৪টি দেশ ও ৪ সংস্থার অন্তত ১২৬ জন পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৬৬ জন গণমাধ্যমকর্মী এসেছেন। যদিও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১৫৬ জন পর্যবেক্ষক এবং ৭১ জন গণমাধ্যমকর্মী মিলিয়ে ২২৭ জন আবেদন করেছিলেন। দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া, লেবানন, জর্ডান, ফিলিস্তিন, মরিশাস প্রভৃতি। আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রয়োজনীয় সব খরচ বাংলাদেশ বহন করবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্নদেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন।ইসি সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে এই তিন শ্রেণিতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটি করবেন। এদের মধ্যে রাশিয়া, ভারত, মরিশাস, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি থাকছেন। সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, কমনওয়েলথ, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা, আরব পার্লামেন্ট ও আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালায়েন্স নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্ত থাকবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdecd9e0e, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪," যা হলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হতো, জানালেন সিইসি"," বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হতো বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।সিইসি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এটি আরও গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হতো। তারা ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। আমরা বলব, তাদের (ভোটার) ভোট দিতে আসা উচিত। এটি তাদের পবিত্র রাজনৈতিক কর্তব্য যে, ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করা।’কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটি বলা কঠিন। কত ভোট পড়লে আমি খুশি হব, এ বিষয়ে এখন কথা বলা কঠিন। তবে দুই শতাংশ ভোট পড়লেই নির্বাচন হয়ে যাবে। কত শতাংশ পড়লে একটা নির্বাচন গ্রহণযাগ্য হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।’নির্বাচন স্বচ্ছ করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তাও পোলিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন না। কাল সকাল ৮টায় যখন নির্বাচন হবে, সেটাই পোলিং। সেই পোলিংয়ে যদি ভোটচুরি, কারচুপি কিংবা অনিয়ম ব্যাপকভিত্তিতে হয়, তাহলে তার কিছু দায়ভার আমাদের ওপর পড়বে।’‌‌তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তারা সরকারি কর্মকর্তা। তাদের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, সচেতন করার জন্য। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আপনারাও (মিডিয়া) ক্যামেরা নিয়ে ঘুরবেন, যারা পর্যবেক্ষক ও মিডিয়াকর্মী ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তাদের অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে।’এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdfefd6946, আমাদের সময়,০৭ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলা যাবে না," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবার সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাক্সিক্ষত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। নির্বাচনী সর্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। মোট ১৯৭০ প্রার্থী ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না।সিইসি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। সব প্রার্থী ও ভোটার সাধারণকে নির্বাচনবিষয়ক বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে আরোপিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাক্সিক্ষত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু অনস্বীকার্য যে, নির্বাচন প্রশ্নে, রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ রয়েছে। মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, নাশকতা ও সহিংসতা একেবারেই হচ্ছে না তা বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মানুষ হতাহত হচ্ছে। নির্দোষ, নিরীহ, নিষ্পাপ শিশু, নারী, পুরুষের মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। চলমান এহেন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও অবসান প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে, আজ না হলেও ভবিষ্যতের জন্য।’সিইসি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসমূহের সহায়তা নিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়ে থাকে। সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে।সিইসি বলেন, কমিশনও তার আয়ত্তে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা গ্রহণ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণতান্ত্রিক আশা-আকাক্সক্ষা ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ আবেগ ও চেতনা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সংবিধানে দেশের জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। রাত পোহালে আজ বাদে কালই সেই নির্বাচন। তিনি বলেন, ২২ মাস পূর্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। আগ্রহী সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামত শুনেছি। সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকেও সংলাপে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণে তারা সাড়া দেননি। নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdb16388e4, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, সহিংসতা কম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে," নানা বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের প্রচার। এবারের নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর সহিংসতায় তিনজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তুলনায় এবারে সহিংসতার ঘটনা তুলনামূলক কম হয়েছে।একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন এবং ভোটের আগের দিন সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হন। জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত ১৮ দিনে দেশে নির্বাচনী সংঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী প্রচারে প্রাণহানির প্রথম ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কর্মী এসকেন্দার খাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ ও পিরোজপুরে সংঘাতে আহত দুজনের গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৯ দিনে দেড় শতাধিক জায়গায় নির্বাচনী সংঘাত ও সহিংসতায় আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। দুই শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিভিন্ন দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।গত বুধবার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থক ডালিম সরকারকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছেন। নিহত জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত (৫০) উপজেলার বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত দুই মাসে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৪১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় ৪৫৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ বলছে, ভোটার, ব্যালট ও ভোটের সরঞ্জামাদির নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্রের ভেতর থাকবে দুই লাখের বেশি অস্ত্রধারী পুলিশ-আনসারসহ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ নিরাপত্তাকর্মী। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের আশপাশ ও ভোটার আসা-যাওয়ার সড়কে দায়িত্ব পালন করবে লক্ষাধিক সেনা, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য। যারা ভোটের মাঠে সহিংসতাকারীদের পাশাপাশি ভোটারদের ভোটদানে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনী প্রচারে সংঘাত সহিংসতার পরিমাণ কম হলেও ভোটের দিন শঙ্কাকে মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cddc5dbe4, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪," ‘নির্বাচন হয়ে যাক, কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না’"," বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের গুজব ও প্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, এর কঠোর জবাব দিতে হবে। নির্বাচন হয়ে যাক, কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। তাদের বিচার হবে। বিএনপিকে কোথাও রাজপথে দাঁড়াতে দেব না। আমরা কঠোর হতে জানি, সময়মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’আজ শনিবার সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের দোসররা নাশকতা অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে। গতকাল তারা ঢাকার গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে দুজন শিশুসহ চারজনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এ ঘৃণ্য নৃশংস সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ’তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করতে চায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি ৭৫-এর ঘাতক দল, এদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা মানুষকে পুড়িয়ে রাজনীতি করতে চায়। কানাডার ফেডারেল রায় অনুযায়ী, বিএনপি আবারও প্রমাণ করল তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির ভোট অর্জনের ডাক দিয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বিএনপি'র ভোট অর্জনের সঙ্গে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ কোনো অপশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষক সাংবাদিক যারা এসেছেন তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। আজকে যে অপশক্তি নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের সন্ত্রাসীর চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। এদের সন্ত্রাসী চরিত্র সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশের মানুষ অবগত। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কাছে আমরা এই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের হত্যাকারী ও গণতন্ত্র হরণকারী দল। মানুষের অধিকার হরণ করাই বিএনপির কাজ। এরা বিদেশীদের কাছে নালিশ দিয়ে বার বার। বিএনপি একটি গুজব পার্টি। তারা গুজব ছড়াচ্ছে। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান তাদের গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নিয়েছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করুন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন, আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্র আসুন দলে দলে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন করে ইচ্ছা ভোট দেবেন। কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। যারা ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করুন।’আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন, বিএনপি যেন নাশকতা করতে না পারে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেউ যেন বিজয় ছিনিয়ে না নিতে পারে, সেজন্যে সতর্ক থাকুন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে আবার সরকার গঠন করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব, ইনশাল্লাহ।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cde4786f3, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, দুই শতাংশ ভোট পড়লেই নির্বাচন হয়ে যাবে: সিইসি," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ভোট দেওয়া নাগরিক-অধিকার। কাউকে সেই ভোটদান থেকে বিরত রাখা অপরাধ। এটা বলা কঠিন, কত ভোট পড়লে আমি খুশি হব। তবে দুই শতাংশ ভোট পড়লেই নির্বাচন হয়ে যাবে। কত শতাংশ পড়লে একটা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।’আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড অনুসারে আমাদের আইন রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যেভাবে বলি, সেভাবে নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয় না।’আমাদের নির্বাচন কেবল দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভোট শুরু হবে সকাল ৮টায়, শেষ হবে বিকেল ৪টায়। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন থাকলে ভোট শেষ হতে আরও দেরি হতে পারে। অর্থাৎ যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ভোট দেওয়া শেষ হলেই ভোট বন্ধ হবে।’হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট রাখার অনুরোধ করছি, যেন ভোটাররা ভোটদানে বাধাগ্রস্ত না হন।’এসময় নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। আগামীকাল রবিবার ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cdac32df36, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের আগে মানবাধিকার সনদ অ্যামনেস্টির," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ১০ দফার এই সনদ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি। অ্যামনেস্টি বলেছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে তারা এই মানবাধিকার সনদ দিয়েছে।অ্যামনেস্টির মানবাধিকার সনদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব রাজনৈতিক দলের মূল পরিকল্পনায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়টি যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে তারা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।অ্যামনেস্টির ১০ দফায় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশটির মানবাধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর), ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন ইকোনমিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটস (আইসিইএসআর)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা মানবাধিকার-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অ্যামনেস্টি। ১০ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখান, তা রক্ষা করুন; প্রতিবাদকে সুরক্ষা দিন; রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান করুন; গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান ঘটান; নারীর অধিকার রক্ষা করুন; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা করুন; মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করুন; হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান ঘটান এবং করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখুন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd7dbc8f7, আমাদের সময়,০৬ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে যেসব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা," আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপি এলাকায় শনিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে রবিবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা থেকে সোমবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক; জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা এবং এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শনপূর্বক) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন চলাচলেও ছাড় দেওয়া হবে।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন), রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি পাবে।প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতায় নিয়োজিত যানবাহন; ঢাকা মহানগর থেকে বের হওয়া বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ বা এমন সব রাস্তায় নিষে",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd5ab58b82, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, অপরাধী শনাক্তে বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে নির্বাচনের মাঠে র‌্যাব," এলিট ফোর্স র‌্যাব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গুরুতর অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ও ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকা অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক তাদের পরিচয় নিশ্চিতকরণ এবং পূর্ববর্তী অপরাধ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে অপরাধীরাও অপরাধ সংঘটনে নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। কিছুদিন আগেও গুরুতর কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে আলামত হিসেবে অপরাধীর ফিঙ্গার প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ঘাটন করা সম্ভব হতো না বিধায় নিকটস্থ র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করতে হতো; যা ছিল অনেকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ অবস্থায় সফলভাবে আইন প্রয়োগের স্বার্থে উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও সরকারি বিভিন্ন জাতীয় ডাটাবেজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাৎক্ষণিক প্রবেশাধিকার জরুরি হয়ে পড়ে। এসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমাধানকল্পে র‌্যাব ফোর্সেস কর্তৃক প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডাটাবেজের সমন্বয়ে ২০২১ সালে Onsite Identification & Verification System (OIVS)-এর প্রবর্তন করা হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নিশ্চিত করতে এবারই প্রথমবারের মতো র‌্যাব কর্তৃক ওআইভিএস (OIVS) ব্যবহৃত হচ্ছে।ডিভাইসটি দিয়ে কার্যক্রম শুরুর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইলসদৃশ এই ডিভাইসটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে পরিচালনা করা সম্ভব। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে এই ডিভাইসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডিভাইসটির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র, অপরাধীদের ডাটাবেজ ও কারাভোগের ডাটাবেজের তথ্য পাওয়া যায়। এতে কোনো ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রবেশ করালে ওই ব্যক্তির তথ্য অতিসহজেই তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। এতে করে নিমিষেই জানা সম্ভব হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার কিংবা হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা অপরাধমূলক যে কোনো কাজের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা। এই ডিভাইসের মাধ্যমে শুধু অপরাধী শনাক্তই নয়, বিভিন্ন অজ্ঞাতনামা মৃতদেহের পরিচয়ও শনাক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে এই ডিভাইসের মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ডিভাইসটি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্মতারিখ ব্যবহার করে জানা যাচ্ছে ব্যক্তির পরিচয়সহ অন্যান্য তথ্য। এতে অপরাধ তদন্তে আরও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধীদের শনাক্তে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে ওআইভিএস নতুন ধারা উন্মোচন করেছে। ওআইভিএস ডিভাইসটি র‌্যাব ফোর্সেসের অফিসাররা পরিচালনা করে থাকেন। অপতৎপরতামূলক কাজে কেউ যাতে ডিভাইসটি ব্যবহারের সুযোগ না পায় সে ক্ষেত্রে ডিভাইসটির সুরক্ষা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিভাইসটি র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন ও কোম্পানি পর্যায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ডিভাইসটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডাররা ডিভাইসটি পরিচালনা করছেন। অতিসম্প্রতি ফিঙ্গার প্রিন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মতারিখ ছাড়াও এই প্রযুক্তিতে ছবি সংযোজন করা হবে যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে আরও সহজতর হবে। তদন্তের প্রয়োজনে র‌্যাব কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিষয়েও তথ্য থাকবে ডিভাইসটিতে। এ ছাড়া পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং পুলিশের ডাটাবেজের তথ্য সহায়তা ওআইভিএস ডিভাইসটির মাধ্যমে পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ডাটাবেজগুলোর তথ্য এই ডিভাইসের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।ডিভাইসটি ব্যবহারের শুরু থেকেই অপরাধী শনাক্তসহ অজ্ঞাতনামা ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিতে র‌্যাবের অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। আধুনিক এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা ২০০৫ সালে বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর মনু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হেমায়েত কবিরাজ, কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যাসহ ৪টি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জালাল গাজী, ১৯৯৩ সালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে পিতা-পুত্রকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ, ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন নাথ ঘোষ, ২০০৬ সালে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আনোয়ার হোসেনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি কামাল উদ্দীনসহ দীর্ঘদিন ছদ্মবেশে পলাতক থাকা অসংখ্য অপরাধীর আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ব্যবহার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বাউল মডেল সেলিম ফকির, বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও কুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘদিনের ছদ্মবেশে পলাতক অপরাধীদের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ব্যবহার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়া কুলেস গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের অজ্ঞাতনামা লাশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের খণ্ডিত লাশসহ অসংখ্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির খণ্ডিত অথবা অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি রাজধানীর আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া এলাকার বংশাই নদীতে ভাসমান অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধারের পর এই প্রযুক্তির সহায়তায় মৃতদেহ শনাক্তপূর্বক জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ২০২১ সালে ডিভাইসটি প্রবর্তনের পর থেকে অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্ত করাসহ অসংখ্য ঘটনায় র‌্যাব ফোর্সেস কর্তৃক সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ওই সিস্টেম ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও দেশের বিভিন্ন থানাসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্তে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের পর এই ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে পরে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ওআইভিএস ব্যবহার করে আভিযানিক কাজে সফলতার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজেরও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি সংসদীয় আসনে মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া স্থাপন করা হয়েছে ৩০টির বেশি অস্থায়ী ক্যাম্প। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র‌্যাব ফোর্সেস পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতা প্রতিরোধে দেশব্যাপী সর্বমোট ৭০০টির অধিক টহল দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থেকে দায়িত্ব পালন করবে এবং টহলসমূহ ওআইভিএসের ডিভাইসটি ব্যবহার করবে যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাঘুরি না করার জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ভোটকেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকায় অনুপ্রবেশকারী বহিরাগতদের পরিচয় শনাক্ত করতে র‌্যাবের মোবাইল টহল কর্তৃক এই ডিভাইসটি ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া এই ডিভাইসের মাধ্যমে এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় প্রবেশ করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে কিনা তা শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক বা আত্মগোপনে থাকা অপরাধীরা যারা আত্মগোপনে রয়েছে তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের আগের দিন ও পরের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এরূপ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওআইভিএস ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আগের অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করবে তৎক্ষণাৎ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করাসহ ভোটকেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকায় ঘোরাঘুরি করা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শনাক্তসহ ডিভাইসটির মাধ্যমে খুব সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে সহিংসতাকারীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নিশ্চিত করতে এবারই প্রথমবারের মতো র‌্যাব কর্তৃক ওআইডিএস ব্যবহৃত হচ্ছে।কমান্ডার খন্দকার আল মঈন : বিপিএম (বার), পিএসসিপরিচালক, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং র‌্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্স",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd5a6fdee6, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, রাঙামাটি দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শুরু," রাঙামাটির দুর্গম হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তা পাঠানো শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে জুরাছড়ি যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ১৮টি দুর্গম অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের পাঠানো শুরু হয়। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও ডিসি মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটির ৪টি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ১৮টি হেলিসর্টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে জুরাছড়িতে ৮টি, বাঘাইছড়িতে ৫টি, বরকলে ২টি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩টি কেন্দ্র রয়েছে। দুর্গম এলাকা হিসেবে আগেই ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলার অন্য উপজেলায়ও নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।১০ উপজেলা নিয়ে গঠিত ২৯৯-রাঙামাটি আসনে ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৭ হাজার ৪১৬ ও নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৬ জন। রাঙামাটির ১২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রাঙামাটি সদরে ১২০ জন ও ৯ উপজেলায় ৪০ জন করে ৩৬০ জন সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে।খাগড়াছড়িতে যাবে হেলিকপটারে : এদিকে খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ৩টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদেরও হেলিকপ্টারে পাঠানো হবে। জেলার দীঘিনালার নাড়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লক্ষ¥ীছড়ির বর্মাছড়ি ও পুট্টিছড়ি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডিসি মো. সহিদুজ্জামান। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল আরও বেশি। এদিকে খাগড়াছড়িতে ১০টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd7d419f6, আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী মাঠে ৬৫৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরেই শুরু হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং নির্বাচনী অপরাধ দমনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে মাঠে নামছেন ৬৫৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট।ইসি আগেই জানায়, নির্বাচনী এলাকায় ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ভোটগ্রহণের পূর্বের দুইদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুইদিন (৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট (পাঁচ) দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হবে। ম্যাজিস্ট্রেটগণ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করবেন।ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্বাচনী অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেওয়া হলে তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) প্রেরণ করবেন। ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে একজন বেঞ্চ সহকারী, স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছে ৮৪৯ জন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd5a5487e2 , আমাদের সময়,০৫ জানুয়ারি ২০২৪, যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নির্বাচন," বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার জয় পেলে বেইজিং খুশিই হবে। তবে, ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে হিমশিম খেতে পারে ঢাকা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত এক অভিমতধর্মী নিবন্ধে গতকাল এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৌরভ সেন।‘বাংলাদেশ ইলেকশন মার্কস আ প্রো-চায়না টিপিং পয়েন্ট ইন সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে ওই নিবন্ধে কলকাতাভিত্তিক লেখক সেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সবসময়ই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে, এবার কিছু ভূরাজনৈতিক ইস্যু বাড়তি গুরুত্ব যোগ করেছে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশগুলো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো সংঘগুলো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপ দিতে কথা, প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছে।’অন্যদিকে, সেন লিখেছেন, ‘চীন ও রাশিয়া পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। তারা অন্যদের- মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে বলেছে।’ সেন মন্তব্য করেছেন, ‘বিশ্বশক্তির এ ধরনের মেরুকরণ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশ কে শাসন করে, তা এই দেশগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের তুলনায় চীন ও ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বেশি সংযম দেখিয়েছে। চীন বলেছে, নির্বাচনে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে তারা সমর্থন করবে। ভারত মনে করে, ‘অতিরিক্ত’ চাপ প্রয়োগ করলে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কট্টরপন্থি শক্তি বরং জোরালো হবে।সেন মন্তব্য করেছেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কী ঘটবে তা বাংলাদেশ এবং এ অঞ্চলের ও বিশে^র পরাশক্তিগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd4fc8170, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, দেশের উন্নয়নে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার তাগিদ বিশিষ্ট নাগরিকদের," বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রগতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জন:প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য নাগরিকরা এ কথা বলেন। বিশিষ্ট নাগরিকরা এই নির্বাচনের ওপরে দেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে। সেইজন্য সকল বাধাবিপত্তি, বৈরিচাপ ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতি নাগরিক সমাজ সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করাই হবে নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গৃহীত কার্যক্রম এবং শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের প্রশংসা করেন।সভায় সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উত্তর দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে নয়া সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুষ্টচক্র দমন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উন্নয়ন-অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের নাশকতার আশঙ্কা ও ভয়ভীতিকে অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’সভায় ইউসিজির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এম এ মান্নান বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সুশাসনের জন্য সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। এবারের নির্বাচনে কোনো যুদ্ধাপরাধী অংশ নিচ্ছে না, এটা জাতির জন্য স্বস্তিকর।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার আওয়ামী লীগের ইশতেহারে রয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।’মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নয়নের অভিযাত্রা এগিয়ে নেওয়া সরকারের জন্য সহজতর হবে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বিদেশি শক্তির প্রভাবমুক্ত বাংলাদেশ চায় এদেশের জনগণ। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর হত্যা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভাজন ও অনাস্থা সৃষ্টি করেছে, সেটির সুযোগ নিচ্ছে বিদেশিরা। নির্বাচন প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেওয়া দলগুলো যাতে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে না পারে সেদিকে সর্বাত্মক নজর রাখতে হবে।’সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এদেশের জনগণ অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে ক্ষমতা আনবে।’সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘নতুন সরকার দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে যোগ্য লোককে যোগ্য স্থানে পদায়নে মনোযোগ বাড়াতে হবে।’সাংবাদিক নঈম নিজাম বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি জনপ্রত্যাশা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।’জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতির ব্যাপকতা বাড়াতে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে কাজ করতে হবসভায় বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, অজয় দাশগুপ্ত, আশীষ সৈকত, ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ম. হামিদ, প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, নেসার হোসেনসহ আরও অনেকে। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd3f4a487, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, সাকিবের নির্বাচনী প্রচারে মাশরাফি," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাকিব আল হাসান। নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে নিজের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। এবার তার নির্বাচনী প্রচারে অংশ হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরায় পা রাখেন টাইগার সাবেক অধিনায়ক।মাশরাফি নিজেও নড়াইল-২ আসন থেকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে। এর আগে সাকিব মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই অবশ্য তাকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন মাশরাফি।এদিকে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে সাকিবের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে। নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেই গতকাল বুধবার সাকিবের টানে মাগুরায় গেছেন সৌম্য সরকার।এছাড়া সাব্বির রহমান, রনি তালুকদার, মুক্তার আলি, নাজমুল অপুর মতো ক্রিকেটাররাও আছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd457fc6f, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, হেলিকপ্টারে নির্বাচনী সরঞ্জাম যাবে খাগড়াছড়ির ৩ কেন্দ্রে," পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকার তিনটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো ও ভোট গ্রহণের কাজে নিয়োজিতদের পরিবহনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নাড়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ও পুট্টিছড়ি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। তবে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল আরও বেশি।খাগড়াছড়ির ১০টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।খাগড়াছড়ির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, খাগড়াছড়ির দুটি উপজেলার তিনটি ভোটকেন্দ্রে লোকবল ও নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি একটি মাত্র আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন, ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি। দুর্গম ভোটকেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd3815942, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, মাহিয়া মাহির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা," ভোটের মাঠে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মন্ডুমালা পৌর এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন এই চিত্রনায়িকা। ইশতেহারে ভোটারদের উদ্দেশ্যে ১৭ দফা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরেন তিনি।ইশতেহারে উল্লেখিত বিষয়গুলো হলো-সব শ্রেণি-পেশা, ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে বৈষম্য দূর করা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। গোদাগাড়ী-তানোরে বৃহৎ আকারে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্ম সংস্থান ব্যবস্থা করা। কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সবজি-ফল সংরক্ষণের হিমাগার প্রতিষ্ঠা ও কৃষি পণ্য রপ্তানিমুখী করার জন্য ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এছাড়াও কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সেচ, সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান মাহি।এছাড়াও আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবেন। চর আষাড়ীয়াদ এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন। গোদাগাড়ী-তানোরে শতভাগ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও নারীর ক্ষমতায়নে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিবেন।শুধু তাই না, স্কুল- কলেজ-মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান ও বৃহৎ কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করবেন। তরুণ ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে আউট সোর্সিং, আত্মকর্মসংস্থান এর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ব্রিজ- কালভার্টসহ সব যোগাযোগ অবকাঠামো সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণের কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবেন। কার্যকর নদী ব্যবস্থাপনা ও খননের মাধ্যমে নৌরুট চালু করবেন। গোদাগাড়ী-তানোরের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ ও শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন এই চিত্রনায়িকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি হেলথ কিনিকে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিসহ সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করবেন।ইশতেহার শেষে মাহিয়া মাহি জানান, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারেও তিনি শতভাগ আশাবাদী।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd05e55598, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে আসনপ্রতি ৭ কোটি টাকা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে দুই হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। ভোটের দায়িত্বরতদের ভাতা, ভোটের উপকরণ প্রভৃতি খাতে ব্যয় বাড়ায় মোট ব্যয়ও বাড়ছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের বাজেট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এর তিনের দুই ভাগ রাখা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তিন হাজারের মতো ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা ও মোতায়েনের সময় বাড়ায় তাদের পেছনে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তাই সমুদয় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।ইসির নির্দেশনায়, গত ২৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমে গেছেন, থাকবেন ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগে একেক বাহিনী একেক সময় মাঠে নামত বিধায় ব্যয় কম হতো। তার আগে নেমেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। এবার ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যাও বেশি। ৩০০ আসনের জন্যই ৩০০ নির্বাচনী তদন্ত কমিটি নিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ ছাড়া আট লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার ভাতাও বেড়েছে।জানা গেছে, নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর আট লাখের মতো লোকবল ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এতে আসনপ্রতি ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত কোটি টাকার বেশি।ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অতিরিক্ত ব্যয়ের চাহিদা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা বরাদ্দ দেওয়াও শুরু করেছে।সংসদ নির্বাচনে ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, একটা জিনিস নিশ্চিত করেছি আমরা, নির্বাচনী ব্যয়; যেন পর্যাপ্ত ব্যয় বরাদ্দ হয়। এবার ইসির নির্দেশনায় ডিউটির সংখ্যা বেড়েছে, সময় বেড়েছে, এ কারণে ব্যয়ও বেড়ে গেছে।তিনি বলেন, ইসির জন্য এক হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে, সময় বাড়ানো, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি কারণে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। জেনেছি যে, দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ লাগবে। ইতোমধ্যে ইসি সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি। বাকিটাও দেব।আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cd0cd7bc22, আমাদের সময়, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ডিবি কার্যালয়ে মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল," যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) তিন সদস্যের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে যায়। পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাব ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারা ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সেখানে সাদা ভাত, মাছ ও মুরগির মাংস দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccf9a8fd1, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ডিবিতে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) তিন সদস্যের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে যান তারা।ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে মিটিং করেন আইআরআই পর্যবেক্ষক দল। মিটিং শেষে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খান তারা।আইআরআই পর্যবেক্ষক দলে আছেন সংস্থাটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাব ঘোষ ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।মিটিংয়ে আইআরআই প্রতিনিধিদল জানতে চায়, পুলিশের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কি ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় পুলিশ কাজ করছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccf2498bf, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪," সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা "," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া তিনি বলেছেন বলেছেন, এ নির্বাচন ইতিহাসে ফাইলফলক হয়ে থাকবে।আজ বুধবার বিকেলে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি।বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া, কিন্তু থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে।’তিনি বলেন, ‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতায় আসতে পারিনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাট, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে।’তিনি বলেন, ‘তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, একদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরেক দিকে তারেক, যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়। তারা জানতো জনগণ তাদের ভোট দেবে না, প্রত্যাখ্যান করবে। তখন তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল। ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করার সৌভাগ্য আমাদের হয়। যার ফল আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষকে বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে। আপনার নৌকা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। সেটাই আমরা চাই।’তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে। আমরা নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেব, এটা আমাদের স্লোগান। আপনারা আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে কোনোরকম গন্ডগোল আমি চাই না। আপনাদের সহনশীলতা দেখাতে হবে, কোনরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব যেন না থাকে। নির্বাচনে যার যার ভোট সে শান্তি মতো দেবে, সেই পরিবেশটা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি। কারণ বাংলাদেশ নিয়ে অনেকে অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতার চেতনা বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটা ধ্বংস করবে। এ দেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। কাজে এদেশে মানুষ ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটা আমাদের লক্ষ্য।’তিনি বলেন, ‘মানুষ তার ইচ্ছামতো ভোট দেবে, এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। কোনোরকম সংঘাত আমি চাই না। আমি চাই এটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে। ইনশাল্লাহ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হবো। জনতার জয় হবে।’ এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccddee784, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সোয়া ৩ কোটি ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে রিট," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সুবিধাভোগী সোয়া ৩ কোটি ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদানে বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।আজ বুধবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ জনস্বার্থে এই রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।এ বিষয়ে ড. বশির আহমেদ বলেন, ‌‌‘কমনওয়েলথভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে বাধ্যতামূলক করার বিধান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্যে ভোট দেওয়ার বাধ্যতামূলক বিধান চালু রয়েছে। বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশ। এই দেশেও সরকারের সুবিধাভোগী নাগরিকদের ভোটদানে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এ কারণে রিটটি করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী ২ কোটি ৭৫ লাখ ভোটার রয়েছেন।এ ছাড়া আধা সরকারি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সোয়া ৩ কোটি ভোটার রয়েছেন। তাই রিট আবেদনে ভোটকেন্দ্রে এসব ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়েছি।’উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccb30cbdd4, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অর্থবহ নির্বাচনের নির্ণায়ক," একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ১৭ কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত বিষয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মহান স্বাধীনতা অর্জনকারী এ দেশ স্বাধীনতার পর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকে একটি নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশের ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সুদূরপ্রসারী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে আরও অনেক উচ্চতর স্থানে। নানা কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রক্ষমতাকে অপব্যবহার করেছে। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত পথে বাংলাদেশ সব সময় চলেনি। আজকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যে সংকট এবং সংঘাতময় অবস্থার তৈরি হচ্ছে তা দেশের কোনো মানুষেরই কাঙ্ক্ষিত নয়। বিশ্বাস করি এটি সরকারি দল, বিরোধী দল, ছোট দল, বড় দল, বাম দল, ডান দল কারোই কাম্য নয়। তাই এই অনিশ্চিত যে অবস্থা সেটি নিরসনে দেশপ্রেমিক জনতা সব সময়ই দেশের মঙ্গলে অবদান রাখতে চাইবে। কোন পথে সেই অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হচ্ছে সেটি বড় প্রশ্ন, এটি কি রাস্তায় আন্দোলন করে সম্ভব, না এটি সংলাপের মাধ্যমে সম্ভব, না অন্য কোনো পথে সম্ভব- এটি বিশাল বড় প্রশ্ন আজকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উত্তর খুব স্পষ্ট যে, সংঘাতবিহীন একটি অর্থবহ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধেরআকাঙ্ক্ষার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি হবে সেই মাপের জনপ্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে সেটিই আসলে দেশবাসীর প্রত্যাশা। কিন্তু অতীতে নানা কারণে সেই প্রত্যাশার জায়গায় ছেদ পড়েছে, বাধাগ্রস্ত হয়েছে, দেশের মানুষ হতাশ হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রের জন্য মূল নিয়ামক হলো দেশের জনগণ। জনগণ যদি হতাশ, ভীতসন্ত্রস্ত বা জনগণ যদি ভোটবিমুখ হয় তা হলে কখনই সঠিক নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যত নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোক অথবা নির্বাচন কমিশন যেভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করুক না কেন, মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে হবে এবং মানুষ দায়িত্ব নিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি নির্ণায়কের ভূমিকায় থাকবে সেটিই আজকে কাম্য। কিন্তু সে ধরনের অবস্থা বাংলাদেশে নানা কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই বাধা দূরীকরণে বিবেকবান মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, অবদান রেখেছেন, তদ্রুপভাবে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে দায়িত্ব নিয়ে দেশের কল্যাণে, জাতির কল্যাণে একটি অর্থবহ, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, কার্যকরী নির্বাচনে অবদান রাখতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। এটি যেমন ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে জরুরি, পাশাপাশি অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় কোনো নিরপেক্ষ বা গ্রহণযোগ্য অর্থবহ নির্বাচন করা কঠিন হবে। বর্তমানে যে অগ্রসরমান বাংলাদেশ আমরা দেখছি অথবা মানুষের হৃদয়ে আছে অগ্রসরমান একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেই অবস্থাটি মুখ থুবড়ে পড়বে, এগোবে না, আবার আমরা আরও বেশি হতাশাগ্রস্ত হব, দেশ পিছিয়ে যাবে, আমাদের বিদেশের কাছে হাত পাততে হবে, অর্থনীতি, প্রশাসনিকব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হবে, আমাদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা আমরা নিশ্চিত করতে পারব না। তাই এটি নির্ভর করে দেশবাসীর ওপর, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপর। অবশ্যই কোনো অদৃশ্য নিয়ামক দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, গৃহবধূদের সামনে এসে নির্বাচনের ধারা তৈরি করে দেবে না। কোন ধারায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, কোন ধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুসংগঠিত হবে, কোন প্রক্রিয়ায় পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার চললে নিরপেক্ষ অর্থবহ নির্বাচন হবে সেটি হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিক আলাদাভাবে বলতে পারবে। কিন্তু সেই জায়গাটিতে দেশের মানুষকে ঐকমত্যে আসতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় নিরপেক্ষ, অর্থবহ নির্বাচন দেখতে চাই। যেটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সৎ, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে আমাদের বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করবে। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এবং তার মাধ্যমেই দেশপ্রেমিক, সৎ, কার্যকরী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার : সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccba715ca10, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী প্রচারে তামাকপণ্যের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান," জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চলমান দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচারে তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ ও ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ১৫ তামাকবিরোধী সংগঠন। এতে বলা হয়, অতীতে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিতরণ করতে দেখা গেছে। এবারও সে রকম পরিলক্ষিত হলে তা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে তামাকপণ্য সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।দেশে তামাকের ব্যবহার উদ্বেগজনক জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।সার্বিক বিবেচনায় তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় নির্বাচনী প্রচারে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার না করার বিষয়টি প্রার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসাবে যুক্ত করা হলে তা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী সাফল্য হিসাবে বিবেচিত হবে। বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- প্রজ্ঞা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এইড ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ডরপ, ডাস, মানস, উন্নয়ন সমন্বয়, বিইআর, গ্রাম-বাংলা উন্নয়ন কমিটি, টিসিআরসি, বিসিসিপি, নারী মৈত্রী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccd747ce8, আমাদের সময়, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ বুধবার সকাল থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগরী এলাকার মোড়ে এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘সশস্ত্র বাহিনী শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/ স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/ উপজেলা/ মেট্রোপলিটন এলাকার ‘নোডাল পয়েন্ট’ ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করবে।’আইএসপিআর জানায়, উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) ১৯টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে নৌবাহিনী।সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।অপরদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রসমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। জরুরি প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের চার দিন, ভোটের দিন ও পরের তিন দিন পর্যন্ত মাঠে কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ccaa6e974, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪," নির্বাচনের পরিস্থিতি যেমনই হোক, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব: তৈমূর"," তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে (রূপগঞ্জ) দলটির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরিস্থিতি যেমনই হোক, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। সরকারি এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে সরকারে সফলতা ও ব্যর্থতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরব।’আজ মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় রূপগঞ্জের মাঝিনা এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী অন্যের জমি দখলকারী যে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারকারীরা ছিল তাদের বিরুদ্ধে এতদিন মুখ খোলেনি জনগণ। তারা পুরো রূপগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছিল। মন্ত্রী গাজী (পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী) ও তার বাহিনী যে ভীতি মানুষকে দেখায় তাতে তো আর আটকে রাখা যাবে না। এতদিন মানুষ রূপগঞ্জকে ভয় পেত। এবার তা উপেক্ষা করে মানুষ আমার পক্ষে নেমেছে। আর চিন্তা নেই। এখন আমি নামলেই হাজার হাজার মানুষ নেমে যায়।’নির্বাচনের পরিবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রভাব খাটিয়ে মন্ত্রীর লোকজন পরিস্থিতি অশান্ত করতে চায়। আমার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বলার পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নিয়ন্ত্রিত সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদের ওপর নেমে আসছে বিভীষিকাময় নির্যাতন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’নির্বাচন কমিশনকে এখানে শক্ত অবস্থান নিতে হবে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ও যা বলেছেন ‘নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হবে’, সেটি যদি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে সবদিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এবং নির্বাচন পুরোটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cca679f9d, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, মনে হয় না জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে: ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টি (জাপা) দলগতভাবে সরে যাবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বর্জন করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা কেন ভোট বর্জন করেছে এটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ভালো উত্তর পাবেন। তারা যদি বর্জনই করবে তাহলে আমরা কেন আলোচনা করলাম (জাপার সঙ্গে)?'ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যে পাঁচটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে সেগুলো তো কম্প্রোমাইজের সিট নয়। তারা ২৮৭ জন প্রার্থী দিয়েছে, এর মধ্যে ২/৪ জন সরে যেতেই পারে। জাতীয় পার্টির ইতিহাস কী বলে? এরশাদ সাহেবের সময় এবং পরে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা কত? মহাজোট ছেড়ে সরকার গঠনের মতো আসনের ধারে-কাছেও তারা নেই।’জাপার সঙ্গে আলোচনা করেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তাদের (জাপা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, আমরা অবিচল এবং অটল। আমাদের ওপর এই নির্বাচন ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। আমরা যেকোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব, সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।’বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা, যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, নির্বাচন কেন্দ্র, সরকারী অফিস, রাস্তা কেটে ফেলা, বাসে-ট্রেনে আগুন, ৫ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা। এবারও তারা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে যথেষ্ট বিচ্ছিন্ন করেছে, যা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।’এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রংপুরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাপা চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেন, তারা দলীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা সময় বলে দেবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc9b32de5, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, এবারের নির্বাচন শেখ হাসিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ: শেখ পরশ," কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কোনো আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা বহির্বিশ্বের চাপ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন। আমাদের দরকার অংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’আজ সোমবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিবরিয়া চত্বরে হবিগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলীর সমর্থনে পথসভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এ কথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পরশ বলেন, ‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আমরা খালি মাঠে ভোট দিতে চাই না। কাউকে বাধাও দিব না। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোনো প্রকার সংঘাত, হট্টগোল বরদাস্ত করা হবে না। এ ক্ষেত্রে জিরো টরারেন্স। সম্পূর্ণ রূপে যেকোনো ধরনের সংঘাত পরিহার করতে হবে। সংঘাত হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না।’উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- হবিগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত জোয়ার্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, শেখ মো. মিছির আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুুরী, সেক্রেটারি একেএম মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পৌর যুবলীগ আহ্বায়ক একরামুল আলম লেবু প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc95f2a3c, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন: কাল থেকে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘In Aid to the Civil Power’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আইএসপিআর জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ড-এর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।বাংলাদেশ বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রসমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc70085a39, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের পর হলফনামা যাচাই করবে দুদক," দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামার সূত্রে যেসব প্রার্থীর অস্বাভাবিক সম্পদের খবর প্রকাশ হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্বাচনের পর যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাবের সত্যমিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আছে। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এমজিআই-র‌্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।দুর্নীতি দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিক ও দুদক একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই, দুর্নীতি নিয়ে আপনারা ভালো রিপোর্ট করবেন। দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন বলেন, আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট চাই। আপনারা প্রতিটি দুর্নীতির ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে প্রতিবেদন করবেন। যাতে আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি।এ সময় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ দুদক ও র‌্যাকের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তিন ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু, মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবসৈকত ও ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুমকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc8eb13c0, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন ইসি আনিছুর," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।এ সময় উপস্থিত সবার প্রতি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমরা (বাংলাদেশ) সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারি।’তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হবে। প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেওয়া যাবে না এই নির্বাচন। উপস্থিত সবার প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা।’ এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড বাহিনী মুভ করতে পারবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc9d035eb, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, আমি নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি: শামীম ওসমান," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জে আগমনের খবরে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান।আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে এ কে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জনসভাস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে শামীম ওসমান এ কথা বলেন।শামীম ওসমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আমি নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য তার নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য কাজ করছি। ওনাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অসংখ্যবার হামলা হয়েছে। তাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে তার নিরপত্তা নিশ্চিত করা। নিরপত্তার জন্য আমরা আমাদের সব নেতাদের মঞ্চেও উঠতে দিচ্ছি না। এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নারায়ণগঞ্জ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে। এতে করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী গর্বিত। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমাদের বাইতুল আমানকে আওয়ামী লীগের একটি দুর্গ বলেছেন। সেখানে আমার বাবা ও আমার দাদার কথা বারবার তিনি লিখেছেন। আমরা তাদের মতো হতে পারব না। সেটি আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’শামীম ওসমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনের শেষ জনসভাটি আমার নির্বাচনী এলাকা নারায়ণগঞ্জ-৪-এ করবেন। এটা আমার কাছে যে কত বড় পাওয়া, সেটি বলে বোঝাতে পারব না। আমি আমার আবেগ ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য চাওয়া-পাওয়ার কি আবেদন থাকবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘মায়ের কাছে কখনো সন্তান চায় না। উনি আমাদের মা। আমরা উনার কাছে আবদার করতে পারি। উনি চাওয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, শেখ কামাল আইটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক কিছু দিয়েছেন। আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতার মতো সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা। আমরা একটি সংগঠন করবো প্রত্যাশা নামে। এর মাধ্যমে নারীদের চলাফেরার নিরপত্তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আরও একটা চাওয়া থাকবে উনার কাছে, সেটি হলো মেট্রোরেল নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসা।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc8a8ebf9, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, এবার নির্বাচনের দিন চলবে গণপরিবহন," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণপরিবহন, রেগুলার লাইনের বাস ও প্রাইভেটকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এসব যানবাহন চলাচলের বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।তবে মোটরসাইকেল, স্পিডবোটসহ বেশ কিছু যানবাহনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানান তিনি।আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২য় পর্যায়ে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ৬ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) ট্যাক্সি, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc6f86fc41, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার শক্তি বিরোধীদের নেই," ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জনগণ নির্বাচনমুখী; তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে চান। ভোট বাধাগ্রস্ত করতে যে শক্তি বা সাহস প্রয়োজন, তার কোনোটিই নির্বাচনবিরোধীদের নেই। মোট কথা- নির্বাচনে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।গত শনিবার দৈনিক আমাদের সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নতুন বছরে ঢাকা মহানগর পুলিশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করা পুলিশের বড় দায়িত্ব। ঢাকা মহানগর পুলিশ এ জন্য প্রস্তুত। ভোটের নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রস্তুতির বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ডিএমপি সব সময় চ্যালেঞ্জে থাকে এবং সেগুলো ডিএমপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে।’তিনি বলেন, ‘ভোট ঘিরে নিরাপত্তার যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করেছি- নির্বাচনপূর্ব চ্যালেঞ্জ, নির্বাচনের দিনের চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনের পরের চ্যালেঞ্জ। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি; পরিকল্পনা করেছি।’ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভোটের আগের সময়ে যেন প্রার্থীদের মাঝে সহিংসতা না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ছাড়া কোথাও কিছু ঘটলে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়েও কাজ করছি।’ডিএমপি কমিশনার মনে করেন, ‘ভোটাররা যেন সহিংসতার আশঙ্কাবোধ না করেন, তা নিশ্চিত করা পুলিশের অন্যতম কাজ। এজন্য প্রতিটি থানায় এবং বিট পুলিশের ইউনিটদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, সেজন্য যা যা করা দরকার, আমরা করছি।’ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপারসহ অন্য সরঞ্জামাদি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে কেন্দ্রে পৌঁছানো পুলিশের দায়িত্ব। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে। এ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু কেউ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে বা আড়ালে নাশকতা করতে চাইলে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।’হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের ২ হাজার ১৪৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিগুরুত্বপূর্ণ। কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৪৭৮টি। ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কিছু গোষ্ঠী নির্বাচন প্রতিহত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা নির্বাচনবিরোধী কার্যক্রম ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে; নাশকতা করছে। তদের রুখতে পুলিশ তৎপর আছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc634b3c89, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, সমর্থন আদায়ে নির্বাচনী মাঠে দুই এমপিপত্নী," নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে নারী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই এমপির স্ত্রী। নৌকা প্রতীকের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সহধর্মিণী রুবিয়া সুলতান ও লাঙল নিয়ে মাঠে রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মিণী ডালিয়া লিয়াকত। অনেকটা বিরামহীন দিন কাটছে তাদের। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকা ঘুরে নারী ভোটারদের জড়ো করে উঠান বৈঠক থেকে শুরু বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।জোটের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর এবার আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষণার পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। নিজ দলের প্রার্থী কায়সার ও তার সহধর্মিণীকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মী, সমর্থকরা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।আব্দুল্লাহ আল কায়সার নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমকে ৯২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। এরপর দলের সিদ্ধান্তে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এবার প্রতীক পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়ে নৌকা জয়ী করতে পুরো নির্বাচনী এলাকায় একযোগে কাজ করতে দেখা গেছে।অন্যদিকে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা একাধারে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ১০ বছরের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকত ভোটার সমর্থন আদায়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে এ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকরাই।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc596ae7e, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪," ‘বিদেশিদের কথা দিয়েছি, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ করে দেব’"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘আমরা বিদেশিদের কথা দিয়েছি, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ করে দেব। আমরা মনে হচ্ছে, আমি আমার কথা রাখতে পেরেছি। আজকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বইছে।’আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্ধনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বক্সনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত কেন্দ্র ভিত্তিক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা শুধু নির্বাচন নিয়ে জানতে চায়। তারা তিনটা জিনিসের দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমি তাদের প্রশ্ন করেছি, অংশগ্রহণ বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে কি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। তারা প্রতিউত্তরে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলো কি আসলো না, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা চাই নির্বাচনের একটা অনুকূল পরিবেশ। আমি বলেছি অবশ্যই সারা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’সালমান এফ রহমান আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঢাকা-১ আসনের সকল ভোটাররা সকাল সকাল ঝাঁকে ঝাঁকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করব।এ সময় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভুইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবন্য ভুইয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনার কলি পুতুল, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মিয়া, এমএ বারী বাবুল মিয়া, হুমায়ন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বক্সনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বার্ণাড তপন গমেজ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সামিউল আহাদ রনক সঞ্চলনা করেন। এছড়া দেশ বরেণ্য শিল্পী সালমা ও ফকির আলমগীর গান গেয়ে সালমান এফ রহমানকে বরণ করেন।অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় সালমান এফ রহমান নবাবগঞ্জ উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc62ddbcb14, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ বললেন সাকিব," মাগুরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচনে সবারই অনেক দায়িত্ব আছে। সবার নাগরিক দায়িত্ব ভোট প্রদান করা। আমি চাই, মাগুরায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হোক। মাগুরার মানুষ শান্তি চায়, ৭ জানুয়ারি সেটা আমরা প্রমাণ করব। গতকাল দুপুরে শহরের কলেজপাড়ায় ১৪-দলীয় জোটের শরিক জেলা জাসদের (ইনু) নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।জেলা জাসদের সভাপতি সৈয়দ ওহিদুল ইসলাম ফনির সভাপতিত্বে সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সাকিব বলেন, ১৪ দলের শরিক হিসেবে আপনাদের পূর্ণ সমর্থন আমি পাব বলে আশাবাদী। আপনাদের সবাইকে অনুরোধ- ভোটের দিন আপনার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নৌকায় ভোট দেবেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc634b7c212, আমাদের সময়, ০২ জানুয়ারি ২০২৪, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত - আইজিপি," পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মাঠে থাকবে।সোমবার রংপুর নগরীর বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স মেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি আরও বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কেউ যদি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বা বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচনবিরোধী যে কোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।পরে আইজিপি রংপুর মেসে বিভাগের সব ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc157fe102, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, বছরজুড়ে নির্বাচনের বছর," আগমী ৭ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বছর। বৈশ্বিক জিডিপির একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্বকারী এসব দেশের বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৮টি দেশে ৮৩টি জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন হবে এই বছর। ২০৪৮ সালের আগে এক বছরে এত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই।ব্রাজিল ও তুরস্কের মতো কিছু জায়গায় সাধারণ নির্বাচন হবে না, তবে স্থানীয় বা পৌরসভা নির্বাচন হবে, যেখানে পুরো দেশ অংশগ্রহণ করবে।নির্বাচনে অধিকাংশ মহাদেশ অংশ নিলেও সবচেয়ে বেশি ভোটার এশিয়া মহাদেশে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতিয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার জনবহুল দুই রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আফ্রিকার দেশের মধ্যে আলজেরিয়া, বতসোয়ানা, চাদ, কোমোরোস, ঘানা, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সোমালিল্যান্ড, দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া ও টোগোতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এই মহাদেশে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এ বছরজুড়ে ইউরোপে ১০টির বেশি দেশে সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফিনল্যান্ড, বেলারুশ, পর্তুগাল, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, লিথুয়ানিয়া, আইসল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া, জর্জিয়া, মলদোভা ও রোমানিয়ার মতো দেশে ক্রমান্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।২০২৪ সালে রাশিয়ার পর সবচেয়ে অর্থহীন বা উদ্দেশ্যহীন নির্বাচন হতে যাচ্ছে সম্ভবত বেলারুশে। আবার অনেক নির্বাচন টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। যেমন ইরানের পিতৃতান্ত্রিক নারীবিদ্বেষী রক্ষণশীল প্রশাসন আগামী মার্চের নির্বাচনে ক্ষমতায় হারালে তা দেশটির জন্য ইতিবাচক হবে। তবে তা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ দেশটির ইসলামি বিপ্লবের সমর্থক প্রশাসন এরই মধ্যে বিরোধীদের ২৫ শতাংশ প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। অন্যদিকে আবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হবে। যদিও গাজা ইস্যুতে তার পদত্যাগের দাবি উঠছে এখনই। সব মিলিয়ে এসব নির্বাচনের ভোটের ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বের নজর থাকবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc157fcaf1, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০২৪ : আলোচনায় যে নির্বাচনগুলো," ২০২৪ সালের পুরোটা হতে চলেছে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বছর। এ বছরের পুরোটাই বিশ্বের ৭৮টি দেশে হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন; যাতে অংশ নেবেবিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ। বিশ্বব্যাপী এসব নির্বাচনের ফলই ঠিক করে দেবে সামনের দিনে বিশ্ব রাজনীতি কোন পথে গড়াবে। ফলে আন্তর্জাতিকরাজনীতিতে আসতে পারে পরিবর্তন। লিখেছেন শামস্ বিশ্বাসমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এটি প্রায় নিশ্চিত যে, এবারের নির্বাচনেও জো বাইডেন-ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বৈরথ দেখবে বিশ্ব। মার্কিন ভোটাররা ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনতে কী পরিবর্তন নিয়ে আসে তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে বিশ্ব।জনমত জরিপ মতে, ৮৬ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনকে অধিকাংশ ভোটারই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (৭৭) তুলনায় বেশি বয়সী বলে ভাবছেন। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নানা গুজবও ছড়িয়ে পড়ছে।একাধিক ফৌজদারি অপরাধ, আর্থিক কেলেঙ্কারি, কারসাজি ও যৌন হয়রানির মতো বেশ কিছু অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। নির্বাচন করলেও ট্রাম্পের আইনি লড়াই শেষ হবে না। তাকে অধিকাংশ সময় আদালতেই কাটাতে হবে। তা সত্ত্বেও রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পই ‘ফেভারিট’ হিসেবে বিবেচিত।অন্যদিকে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। যদিও স্বতন্ত্র ভোটারদের টানতে বাইডেনে আস্থা রাখতে উৎসাহী ডেমোক্র্যাটরা। ইতোমধ্যে রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভস বাইডেনকে অভিশংসনের আওতায় আনতে তদন্তের প্রস্তাব এনেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বাইডেন তার ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসা থেকে অনৈতিকভাবে মুনাফা করেছিলেনÑ এই অভিযোগ সত্য কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই তদন্ত।আগামী নির্বাচনে বাইডেন নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে বিপত্তি বাধবে ট্রাম্প সরকার গঠন করলে। ট্রাম্প নির্বাচিত হয়ে ফিরলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে তা এখনো অস্পষ্ট। তবে এটি নিশ্চিত তিনি বাইডেনের সব নীতি থেকে সরে আসবেন। ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা কমিয়ে দিতে পারেন ট্রাম্প। ইইউ ও ন্যাটোর সঙ্গে উত্তেজনা ফের দেখা দিতে পারে। ট্রাম্প এলে চীনবিরোধী নীতি আরও জোরদার হতে পারে।ভারতআগামী এপ্রিল-মে মাসে প্রায় শত কোটি ভারতীয় নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করবে। তবে ২৮ দলীয় বিরোধী জোটের কারণে মোদির আশা ভঙ্গ হতে পারে! আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের পাঁচটি প্রধান প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনের ফল আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে পারে।এএফপির বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বিপুল পরিমাণ হিন্দু জনগোষ্ঠী মোদির ভোটব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।নাগরিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন মোদিÑ এমনটাই ভাবেন অনেক ভারতীয়। ফলে ভোটে বেশ ভালো করার সম্ভাবনা আছে মোদির।তৃতীয় মেয়াদে মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে ব্যবসাবান্ধব সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দেবে। একই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে বৃহত্তর ভারতীয় প্রভাব বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে নয়াদিল্লি। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও উষ্ণ হবে।রাশিয়া২০২৪ সালের সবচেয়ে অর্থহীন বা উদ্দেশ্যহীন নির্বাচন হতে যাচ্ছে সম্ভবত রাশিয়ায়। দুবছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা ভøাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ২৪ বছর ধরে। ২০২৪-এর মার্চে হতে যাওয়া নির্বাচনে জিতে আরও ছয় বছর এ পদে থাকবেন। একই সময় ইউক্রেনেরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।২০২০-এ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ২০৩৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেন পুতিন। এবার নির্বাচিত হলে জোসেফ স্তালিনের শাসনামলকে ছাড়িয়ে যাবে। কার্যত, পুতিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তার মূল ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সেই নাভালনি ১৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারে রয়েছেন। ফলে এবারও ভøাদিমির পুতিনই জয়ী হবেন। নির্বাচন ঘিরে রাশিয়ায় বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে। রুশ সমাজে বিভাজন বাড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি কিয়েভের দিকে। ফলে এ সময় দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ক্রেমলিনের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হবে না। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এই সম্পর্ক উন্নত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত পুতিনও চাইছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ করতে। কেননা তিনি মনে করছেন, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে করতে পশ্চিমারা ক্লান্ত হয়ে পড়বে। একপর্যায়ে পশ্চিমা সহায়তায় ভাটা পড়বে।ইউরোপ২০২৪ সালের আরেকটি বড় ও উল্লেখযোগ্য নির্বাচন হলো ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। আগামী বছরের একেবারে মাঝামাঝি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ক্ষমতার রদবদল হবে। জুন ও জুলাই মাসে দুই ধাপে ইইউ নির্বাচন হবে। ভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নতুন সদস্য নির্বাচন করবেন ইউরোপীয়রা। এর পর জোটের সদস্য দেশগুলো ইউরোপীয় কমিশনের নতুন প্রেসিডেন্ট, কমিশনারসহ প্রধান প্রধান পদে নিয়োগ দেবে। এই বহুজাতিক নির্বাচনে ভোট দেবেন ইউরোপের ৪০ কোটি মানুষ। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনও বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।বিশ্লেষকদের মতে, এই ভোট কট্টর ডানপন্থি, ‘পপুলিস্ট’ (জনতোষণবাদী) নেতাদের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা।নভেম্বরে ডাচ নির্বাচনে গ্রিট ওয়াইল্ডারের ইসলামবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী পিভিভি ফ্রিডম পার্টি ও গত বছর ইতালিতে জর্জিয়া মেলোনির কট্টর ডানপন্থি ব্রাদার্স অব ইতালির বিজয় ডানপন্থিদের পালে হাওয়া দিলেও এই নির্বাচনেই তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।তবে পোল্যান্ডকে দেখে সাহস পেতে পারে ব্রাসেলস। ইইউর সমর্থক হয়েও ক্ষমতায় ফিরেছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক। নির্বাচনকেন্দ্রিক জনমত জরিপ বলছে, এবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বিভক্ত ও অপ্রত্যাশিত হবে। মধ্য-ডান ঘেঁষা ইপিপিই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার রক্ষণশীল দলগুলো বড় ধরনের কিছু লাভ করতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনে নতুন জোট ক্ষমতায় এলে বেশকিছু পরিবর্তন আসতে পারে। পরিবেশ ও ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পেলেও বিভিন্ন সংস্কার পরিকল্পনার গতি ধীর করার চাপ বাড়বে। ইইউ বাজেটে প্রভাব পড়বে। ফলে কৃষি, অবকাঠামোগত তহবিল ও প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রভাবিত হবে। ইইউতে ইউক্রেনের যোগদান বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দেবে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে ইইউ। মার্কিন নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তার ফলে এ বিষয়টি আরও প্রকট হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc0098f4f, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মঈন খান," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে বৈঠক করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসা মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। আজ রবিবার গুলশানে মঈন খানের বাসভবনে প্রতিনিধিদলটি প্রায় পৌন দুই ঘণ্টা বৈঠক করে। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকে ড. আব্দুল মঈন খান ছাড়াও মার্কিন প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনডিআই-আইআরআই নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশনের বিশ্লেষক এবং সমন্বয়কারী মিসেস নাতাশা রথচাইল্ড, উগান্ডা মানবাধিকার কমিশনের কমিশনার এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মি. ক্রিস্পিন কাহেরু, দ্য চার্টার সেন্টারের (নির্বাচন এক্সপার্ট মিশন) লিগ্যাল অ্যানালিস্ট মিস মারিয়াম তাবাতাদজে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক মি. নেনাদ মারিনোভিচ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মি. ইভাইলো পেন্টচেভ।জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আইআরআই ও এনডিআইয়ের মোট ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করবে। এর মধ্যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় আসে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc0aa35b4, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে সব বাহিনীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলার সব বাহিনীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সেলের নেতৃত্ব দেবেন আইডিএ প্রকল্প-২ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। আজ রবিবার ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য পাওয়া গেছে।এতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। সচিবালয়ে স্থাপিত সেই সেলের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তা পাঠানো এবং ৫ জানুয়ারি প্রাক-পরিকল্পনা সভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬ তারিখ সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি একই সময় পর্যন্ত মোট ৭২ ঘণ্টা মনিটরিং সেল কাজ করবে। দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে ইসিকে জানাতে হবে।নির্বাচনে মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত করবে মনিটরিং সেল। ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থাকা র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের সঙ্গে সমন্বয় করবে তারা।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণে নিরাপত্তায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করবেন মনিটরিং সেলের সদস্যরা। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা করবেন তারা।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিক মাঠপর্যায়ের বাহিনীকে অবহিত করবেন মনিটরিং সেলের প্রতিনিধিরা। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ঘটনাবলী ইসি সচিবালয়ের ‌‌‌‌‌‌মনিটরিং অ্যাপসে চটজলদি এন্ট্রি করবেন। পরে ইসিতে গঠিত কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে তা পাঠাতে হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc106b3fa7, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, দেশ-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে," বর্জন ও প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের এই যাত্রা কুসুমাস্তীর্ণ নয়। জনগণ ও বহির্বিশ্বের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে।গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এক কর্মশালা উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে দুই হাজারের মতো অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এবারে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক ডাইমেনশনটা দেশের অর্থনীতি, সামাজিক স্বার্থে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কোনো রকম যদি অনাচার ধরা পড়ে, সেটা অবশ্যই ক্ষমতা দিয়ে সমাধান করবেন।ভোটের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্যের ছড়াছড়ির বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করছে। সাধারণত নির্বাচন খুব উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন বর্জন করা হয়েছে, তখন সহিংসতা হয়েছে। সেটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও কিছু বিতর্ক হয়েছে, যদিও সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। তাই সে সময় নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না।এবারের সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কিছু দিন ধরে বিতর্ক চলছে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। বিতর্কের মধ্যে আমাদের দেশে নির্বাচন প্রশ্নে বাগ্বিত-া হচ্ছে, সহিংসতাও হয়েছে। আগামী নির্বাচনটায় আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে আরেকটি কারণে, সেটা হলো- রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাগ্বিত-া আছে।’দলীয় সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচনের প্রমাণ দেওয়ার তাগিদ দিয়ে সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যেকোনও মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে, একটা সরকার তার দায়িত্ব পালনের সময় নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।ভোট নিয়ে অনাচার চোখে পড়লে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তাৎক্ষণিক তৎপরতার মাধ্যমে জনগণের কাছে আস্থা গড়ে তুলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে দৃশ্যমানের মধ্য দিয়ে। সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে পারে। অনুমোদিত ব্যক্তিরা শুধু গোপনকক্ষে প্রবেশ করবেন না। কেন্দ্রে বিচরণ করে ছবি তুলে তাৎক্ষণিকভাবে সব প্রচার করতে পারবেন। জনগণ যদি দেখেন ভেতরের পরিবেশ স্বচ্ছ, তাহলে তারা বেরিয়ে এসে বলবেন- সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি। তাহলে ভোটটা স্বচ্ছ হবে, গ্রহণযোগ্য হবে।সোশ্যাল মিডিয়ার ৯০ শতাংশ তথ্যকে বানোয়াট উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার হতে পারে। এটা আমাদের বড় ধরনের ঝামেলা। এটাকে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করা যায় কিনা দেখতে হবে।’সিইসি মনে করেন, ‘নির্বাচন ইন্টারন্যাশনাল ডাইমেনশন পেয়েছে। কেননা আমরা জাতিসংঘের সদস্য। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। সরকার এবং আমাদের সঙ্গে তারা বারবার সাক্ষাৎ করছেন। তাদের প্রত্যাশা তারা ব্যক্ত করেছেন। তারা আশা করেন, নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। সেখানে আপনাদের যে দায়িত্বটা, সেটা আপনারা খুব স্পষ্টভাবে বুঝে নেবেন।’অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘শুধু আমাদের দৃষ্টিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলে হবে না; আমাদের দিকে সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য না করতে পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বাংলাদেশে সব বিষয়, বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাংলাদেশ হয়তো বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cbed8c957, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিদেশী শক্তি আমাদেরকে পরামর্শ দিলে গ্রহণ করব।কিন্তু আমাদের নির্বাচনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উসকানি দিলে এটা মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যা করছে, আজকে বাংলাদেশে বিএনপি তাই করছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।’ আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ এর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ও জনতা বাজারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রবিবার সকাল ১০টায় মা-বাবার কবর জিয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এদিন সকালে বসুরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তিনি। পরে চর কাঁকড়া ইউনিয়নের সিদ্দিকিয়া বাজারে গণসংযোগ দিয়ে আজকের প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকে বিএনপি আমাদের দেশে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে লাশ ফেলার রাজনীতি করতে চায়। তারা ৭৫-এ ক্লু করেছে,৭৫-এ খুন করেছে মোস্তাক জিয়া। জেল খানায় জাতীয় চার নেতাদের হত্যা করেছে। তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক জিয়ার দেশে আশার সাহস নেই।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো প্রার্থী বা কোনো একজন নামী নেতাকে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা এটা প্রতিরোধ করবেন।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না।’ এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। পথসভায় কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহীম, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, ফেনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাযারী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, কবিব হাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলি ও দাগুন ভুঁইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম রতন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রুমি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cbc6b964e15, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে নাশকতা হলে কঠোর ব্যবস্থা -বিজিবি মহাপরিচালক," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন (৭ জানুয়ারি) নাশকতা কিংবা অনভিপ্রেত কোনো ঘটনা ঘটালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনামতো বিজিবি কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক একেএম নাজমুল হাসান। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বিজিবির বেজ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, আমরা বর্ডারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাও বিজিবির দায়িত্ব। নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়- সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নাশকতার ঘটনা না ঘটে এবং লোকজন যেন ভোট দিতে নিরাপদ বোধ করেÑ সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করব।বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও কাজ করব। নির্বাচনের আগে ও পরে বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006EA28, আমাদের সময়," ১৭ জুলাই ২০২৩,", দেবিদ্বার পৌরসভা নির্বাচন আজ," ২১ বছর পর দেবিদ্বার পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আজ। শেষ মুহূর্তে নানা হিসাব-নিকাশ মেলাতে ব্যস্ত ভোটার ও প্রার্থীরা। শুরু থেকে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় জনমনে যেমন স্বস্তি আছে, তেমনি ভোটের দিন পরিবেশ কেমন থাকে, তা নিয়ে শঙ্কাও আছে। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনে কে হবেন প্রথম মেয়র, তা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এদিকে গতকাল দুপুরে পৌরসভার ১৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এ সময় কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, আনসার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ৯টি ওয়ার্ডে ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দুই প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ২টি টিমসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006E9E3, আমাদের সময়," ১৬ জুলাই ২০২৩,", নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু ১৮ জুলাই," নেত্রকোনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে ফরম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে হবে।প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানো হয়।এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এবং কোনো প্রকার অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।আরও পড়ুন: রেবেকা মমিনের আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণানেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বেগম রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে গতকাল শনিবার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা এ সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য বেগম রেবেকা মমিন গত ১১ জুলাই মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬০ নেত্রকোনা-৪ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ৮ অক্টোবর ৯০ দিন পূরণ হবে।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন আগ্রহীরা। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ জুলাই; আর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ হবে।গত ১১ জুলাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বেগম রেবেকা মমিন মারা যান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbec52f51, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, সাংবাদিকরা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার মতো কাজ করবে - রাশেদা সুলতানা," আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের একার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। কারণ আমাদের এতগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই যে সারাদেশের খবর নিতে পারব। তাই সাংবাদিকরাই আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরার মতো কাজ করবে। এমন মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। গতকাল শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনিআরও বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে আয়নার মতো। সেই আয়নায় আমরা সব কিছু দেখি এবং সমাধানের চেষ্টা করি। কাজেই আমরা যেন আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচনের সব খবরাখবর পাই কোথায় কী হচ্ছে। ভোটের দিন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন আপনারা (সাংবাদিক)। তিনি বলেন, ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ আমরা ইতোমধ্যে তৈরি করেছি। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম রাশেদুল হক এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbec581b4, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে বিজিবি," আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বিজিবি সদস্যদের ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৭৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনেরআগে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, কোনো নাশকতা যাতে না হয় এবং লোকজন যাতে উৎসাহিত হয়, ভোট দিতে যাতে তারা নিরাপদ বোধ করে সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করব।বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা বর্ডারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পাঁচ বছর পর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাও কিন্তু বিজিবির একটি দায়িত্ব। এ বছরের নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।একইভাবে নির্বাচনের দিন আমরা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়োজিত থাকব। মূলত আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকব। তারপরও যদি কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং অফিসারের কোনো চাহিদা থাকে অথবা ভোটকেন্দ্রেও যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় সেখানেও আমাদের ফোর্স যাবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করবে।নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ও যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় সেখানেও আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি কোথাও নাশকতা বা কোনো সমস্যা হলে আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড আছে। প্রয়োজনে ইলেকশনকে সামনে রেখে কোনো ভোটকেন্দ্রে সমস্যা হলে সেসব জায়গায় আমরা ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করব, যোগ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করাই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে বিজিবি মহাপরিচালক একেএম নাজমুল হাসান উল্লেখ করেন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয় বিজিবির পক্ষ থেকে সর্Ÿোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে সাধারণ লোকজন নিরাপদে তাদের ভোট দিতে পারে।নির্বাচনে বিজিবির গ্রেপ্তারের ক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমাদের টহল টিম রাস্তায় থাকবে। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি ঘটায় তা হলে তো অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006E9B3, আমাদের সময়,১৬ জুলাই ২০২৩, রেবেকা মমিনের আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা," আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর আসনটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৪ জুলাই। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ জুলাই। প্রার্থীরা ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৯ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩১ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ ১ আগস্ট।আরও পড়ুন: নেত্রকোনা-৪ আসনের এমপি রেবেকা মমিন মারা গেছেন২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট অনুষ্ঠিত হবে কাগুজে ব্যালটে। তবে নির্বাচনটি সিসি টিভিতে পর্যবেক্ষণ করা হবে না।নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে গত ১১ জুলাই এই আসনটি শূন্য হয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D12C, আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, রাসিক নির্বাচনকে মডেল হিসেবে দেখতে চায় ইসি: ইটিআই ডিজি," নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেছেন, কমিশন চায় অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সবগুলো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচনও মডেল হবে। সে লক্ষ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ৬ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কর্মশালার আয়োজন করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, ইভিএম ভোটগ্রহণের সহজ প্রযুক্তি। এ নিয়ে ভীতির কিছু নেই। রাজশাহী সিটির সাধারণ ভোটারদের ইভিএমের কার্যক্রম জানাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা গানসহ উদ্বুদ্ধকরণ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। যাতে ভোটাররা নির্ভুলভাবে নিজ নিজ ভোট দিতে পারেন। সে জন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন। এই কর্মশালায় বিভিন্ন ব্যাচে ১৫৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ১৫৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুই হাজার ৩০৬ জন পোলিং কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষ হবে আগামী ১৭ জুন।উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবার নির্বাচনে চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ৩০টি ওয়ার্ডে ১১১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তবে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহী সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D152, আমাদের সময়, ১২ জুন ২০২৩, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বরিশালে ভাতিজার চেয়ারে চাচা," বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।এদিকে বরিশালে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বরিশালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোড মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরেই ভোট দিতে আসা লাটিম মার্কার প্রার্থী মু. শাহরিয়ার সাচিব (রাজিব) এবং টিফিন বক্স মার্কার প্রার্থী শেখ সাঈদ আহমেদের (মান্না) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।বরিশালে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006CF42, আমাদের সময়, ১০ জুন ২০২৩, ১৭ জুলাই দোহাজারী পৌর নির্বাচন মেয়র পদে নৌকা নিয়ে লড়তে ৬ নেতার দৌড়ঝাঁপ," ইসির তফশিল মোতাবেক আগামী ১৭ জুলাই দোহাজারী পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। মেয়র পদে নৌকা নিয়ে লড়তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৬ নেতা দলের হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তারা সবাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। অন্যদিকে ফেসবুকে ওইসব নেতার গুণগান লিখে হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা।আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে লড়তে যেসব নেতা দৌড়ঝাঁপে আছেন, তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম বাবর আলী ইনু, দোহাজারী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বশীর উদ্দিন খান মুরাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নবাব আলী, যুবলীগ নেতা ফয়সাল আল মনচুর ও যুবলীগ নেতা মো. লোকমান হাকিম।তারা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। গ্রাম হবে শহর- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০১৭ সালের ১১ মে দোহাজারীকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এরপর ৬ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে এই পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D075, আমাদের সময়, ১১ জুন ২০২৩, আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: জি এম কাদের," জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের সময় এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’আজ রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার হবে বলে আমরা জানি না। আমাদের শাসন পদ্ধতিতে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। মন্ত্রিসভায় কে থাকল না থাকল অথবা সংসদে কতজন সদস্য আছে বা নেই তাতে কিছু এসে যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে কোনো পরিবর্তনকে আমরা পরিবর্তন মনে করি না। বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কী পদ্ধতি হয় সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচনগুলোতে কোনো দলেরই সকল আসনে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া সম্ভব না। তাই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হয়। প্রধান দুই দলের নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত দুটি জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। একপর্যায়ে সব দল নিজস্বতা হারিয়ে দুটি দলে বিলীন হয়।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cc155d03d12, আমাদের সময়, ০১ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীও শামিল হয়েছে -তথ্যমন্ত্রী," তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারাদেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীরাও শামিল হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবেন। তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। নির্বাচন বানচাল করার জন্য এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। বিএনপির যারা লিফলেট বিতরণ করেন, তারা হঠাৎ বিতরণ করেন, আবার হারিয়ে যান। লিফলেট বিতরণকারীরা এখন ভয়ে আছেন, তারা ভয়ে ভয়ে লিফলেট বিতরণ করেন, জনগণ কখন তাদের ধাওয়া করে।গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নের রামগতিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এদিন তিনি বেতাগীর কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করে, পেট্রলবোমা মেরে, রেললাইন উপড়ে ফেলে অপচেষ্টা চালিয়েছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে। সেটি তারা করতে পারেনি। এখন চেষ্টা করছে কোনো কোনো প্রার্থীর ওপর হামলা করার জন্য, যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। সেটিও কখনো সফল হবে না। অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে ব্যর্থ হয়ে এখন বিএনপি চেষ্টা করছে প্রার্থীদের ওপর হামলা করার। তাদের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নাই।এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মেয়র শাহজাহান সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, জাহেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cbbea58fe1, আমাদের সময়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ," কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এই নির্বাচন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এই নির্বাচনে আঘাত করতে পারবে না। জনগণই মোকাবিলা করবে এবং জনগণই প্রতিরোধ করবে। অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিতহবে। আগামী ৩ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে জনসভায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি কার্যক্রম গতকাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এবার বাংলাদেশের মানুষ হরতাল-অবরোধ ভুলে গেছে। ২০১৪ এবং ’২৩ সালের মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য রয়েছে। এবার তারা নির্বাচনের দিন কোনো সন্ত্রাস করতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের অনেক নির্দেশনা রয়েছে। সব মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে ৮টি আসনেই নৌকা জয়যুক্ত হবে। টাঙ্গাইলকে সাংস্কৃতিক নগরী গড়ে তোলা হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী মামুন অর রশিদ, টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী ডা. কামরুল হাসান খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cb6c8c0685, আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন ঘিরে সাতক্ষীরা সীমান্তে কড়া নজরদারি," আসন্ন নির্বাচন ঘিরে সাতক্ষীরায় প্রার্থীরা ব্যস্ত ভোটারদের আকৃষ্ট করতে। আর ভোটাররা চান নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ। তারা বলছেন, সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ভোটাররা যেন অবাধে ভোট প্রদান করতে পারে সেজন্য কাজ করছেন তারা। এদিকে নির্বাচন ঘিরে কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সাতক্ষীরা সীমান্তের সব পয়েন্টে। নির্বাচন উপলক্ষে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের নিয়মিত যৌথ টহলের গতি বেড়েছে। তারা সীমান্ত দিয়ে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।সরেজমিনে সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে বাজার এলাকাগুলো। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি; দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, নিচ্ছেন ভোট পাওয়ার অঙ্গীকার। তারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে যাওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ।নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে সাতক্ষীরা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আমাদের সময়কে বলেন, ভোটের পরিস্থিতি ভালো। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হবে। নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া।সীমান্ত এলাকার একাধিক ভোটার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই ভোট দিতে যাবেন বলে জানান সদর উপজেলার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা সত্তোরোর্ধ্ব জবেদ আলী। ভোমরার লক্ষীদাড়ি সীমান্ত এলাকার একজন নারী ভোটার বলেন, ভোট দিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে গণ্ডগোল হলে যাব না। ভোমরা সীমান্ত এলাকার স্থানীয় একজন ইউপি সদস্য জানান, সীমান্তের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।ভোট নির্বিঘ্ন করার প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার এসপি মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের এখন অগ্রাধিকার হলো ভোটের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করাসহ ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে এবং অবাধে ভোট প্রদান করতে পারে তা নিশ্চিত করা। ভীতিকর কোনো পরিস্থিতি এখানে নেই।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সাতক্ষীরা সীমান্তের পয়েন্টগুলোতেও। সীমান্ত এলাকাগুলোর একাধিক বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জনবল বাড়ানো হয়েছে সীমান্তের এলাকার পোস্টগুলোতে। প্রতিটি পোস্টে পাঁচ থেকে ছয়জন বিজিবি সদস্যকে টহল দিতে দেখা গেছে। সীমান্তবর্তী নদীগুলোতে যৌথ টহল দিচ্ছে বিজিবি এবং ভারতীয় বিএসএফ। বিজিবি সদস্যরা বলছেন, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cba769bd3 , আমাদের সময়, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনের মাঠ নিয়ে অভিযোগ নেই লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলামের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেছেন, ‘আমি এখনো শতভাগ মসৃণ মাঠ পাইনি; ৯০% পেয়েছি। তবে আমার অভিযোগ নেই। নির্বাচনের মাঠ অনেক সুষ্ঠু। তবে আমি আশা করব এই মাঠ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত থাকবে।’আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বর্ধনপাড়ায় জাতীয় পার্টির অফিস প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমা ইসলাম এ কথা বলেন।সালমা ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে আমি শতভাগ আশাবাদী; তা বলব না। নির্বাচনের মাঠ এমন সুন্দর না থাকলে তো হোঁচট খেতে হবে, তবে আমি আশাবাদী। আমার স্বামী নুরুল ইসলাম বাবুল সবসময় গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকেছেন। আমিও আমার স্বামীর মত সকলের পাশে আছি। জনগণ অবশ্যই আমাকে ভোট দেবে।’তিনি বলেন, ‘দোহার-নবাবগঞ্জে মা-বোনেরা অনেক অবহেলিত। তারা পুরুষদের কাছে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। কিন্তু আমি মেয়ে মানুষ, তাই আমি বিজয়ী হলে সহজেই মা-বোনদের সমস্যা জেনে সমাধান করতে পারব।’সরকারের কাছে দাবি করে সালমা ইসলাম বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি মানুষের জন্য। তাই অবশ্যই নির্বাচনের মাঠকে মসৃণ রাখতে হবে। যাতে করে সকল জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।’শুরুতেই ১৫টি নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করে শোনান সালমা ইসলাম। ইশতেহারে সর্বপ্রথম চলমান দোহার-নবাবগঞ্জে পদ্মা রক্ষা বাঁধের বাকি অংশ কাজের শেষ করা, সরকারি গ্যাসের ব্যবস্থা করা, ইছামতি নদীকে পুনরায় সচল করে নদীর দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নবাবগঞ্জে পৌরসভা গঠন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট ও মনোরোম করা, সড়কে মোড়ে মোড়ে আলকবাতিসহ ৪১৫টি রাস্তা প্রশস্তকরণ, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আধুনিকরণ, দুই উপজেলায় ২৩টি ইউনিয়নে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নতুন ভোটার ও শিক্ষিত মেধাবীদের সরকারি-বেসরকারি চাকরি প্রদান, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত দুই উপজেলা গঠন, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ রোধ ও নারীর ক্ষমতায়নের ব্যবস্থা করা, বিলুপ্ত তাঁতশিল্পকে পুনরুদ্ধার, সকল ধর্মের মানুষকে অসাম্প্রদায়িকভাবে বসবাস নিশ্চিতকরণ, ইছামতি নদীতে নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল, কৈলাইলে শালিকা লঞ্চঘাট, পাতিলঝাপ দত্তখণ্ড এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cb6b72b4b, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, বিএফইউজে নির্বাচনে গাজী-গনি পরিষদ জয়ী," বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজে নির্বাচনে গাজী-গনি পরিষদ জয়ী হয়েছে।আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে সভাপতি পদে রুহুল আমিন গাজী ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম. আবদুল্লাহ পেয়েছেন ১৪৭ ভোট। মহাসচিব পদে কাদের গনি চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন ২২৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল আমিন রোকন পেয়েছেন ১১২ ভোট।এ ছাড়া সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুর রহমান শাহীন (২১৪), মুহাম্মদ খায়রুল বাশার (১৮৮) ও এ কে এম মহসিন (১৫৭ ভোট)। সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন বাছির জামাল (২১৫), ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন (১৯৮) ও এহতেশামুল হক শাওন (১৮৯ ভোট)। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শহীদুল ইসলাম (২১১), সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ (১৮৪), দপ্তরর সম্পাদক মো. আবু বকর (২০৯), প্রচার সম্পাদক মো. শাজাহান সাজু (১৮০ ভোট)। নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন হাসনাত (২১৩), মো. মোদাব্বের হোসেন (২০৫), অপর্ণা রায় (১৯৪), মুহাম্মদ আবু হানিফ (১৭২), ম. হামিদুল হক মানিক (১৬০), মীর্জা সেলিম রেজা (১৫৮) ও মো. আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (১৪৫ ভোট)।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cb1c241b213, আমাদের সময়, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচনে প্রচারে ব্যবহৃত সেই শকুনের চিকিৎসা চলছে," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে প্রার্থীর সমর্থকরা ঈগল ভেবে জীবন্ত এক শকুন নিয়ে প্রচার চালানো শকুনটির বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিরল প্রজাতির শকুনটি উপজেলার মকা থেকে উদ্ধার করেন জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিরল প্রজাতির শকুনটি নিয়ে এলাকায় এক রসালো আলোচনার ঝড় বইছে।সূত্র জানায়, প্রায় সপ্তাহখানেক আগে বানিয়াচং উপজেলার ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা হাওর থেকে একটি বিরল প্রজাতির শকুন পাকড়াও করেন ঈগল পাখির সমর্থকরা। পাখিটিকে ঈগল ভেবে তারা ব্যাপক প্রচার চালান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি নজরে এলে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শকুনটি উদ্ধারকরেন। বন বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, উদ্ধার করা পাখিটি ঈগল নয়। হিমালয় থেকে ছুটে বিরল প্রজাতির একটি শকুন। চিকিৎসা শেষে এটি অবমুক্ত করা হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cb0aee45f, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চান ৩৫ দেশের ১৮০ জন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৮০ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।সেহেলি সাবরীন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’দিল্লির সাংবাদিকদের ভিসা প্রদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থার সাংবাদিকরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। নির্বাচন কমিশন বিদেশি সাংবাদিকদের আবেদন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে যাদের আবেদন গৃহীত হবে তাদের অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু সংখ্যক সাংবাদিককে তাদের সংশ্লিষ্ট মিশনে ভিসার আবেদন পাঠাতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ই-মেইলের মাধ্যমে অনুরোধ করেছে। এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি মিডিয়া সেল এ ব্যাপারে কাজ করছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018caf322d30, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ভোর থেকে নির্বাচনী প্রচারে সাকিব," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাকিব আল হাসান। নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে নিজের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।আজ বৃহস্পতিবারও নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালান সাকিব। এদিন ভোর থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।সাকিব ভোরে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বের হন। হেঁটে হেঁটে জনসংযোগ করেন শহরের কাউন্সিল পাড়া ও ম্যাটানিটি পাড়া এলাকায়। এরপরে ঢাকারোড কাঁচা বাজার ঘুরে শহরের ইসলামপুর পাড়ায় জনসংযোগ করেন এই নৌকার প্রার্থী।প্রচার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ও করেন সাকিব। তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় ঘুরছি। নতুন নতুন মানুষদের সাথে দেখা হচ্ছে। নতুন নতুন ধারনা হচ্ছে। তাদের কথা শুনতে পারছি। স্বাভাবিকভাবেই এই যোগাযোগ আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাগছে। এ সময় জনসংযোগ উপভোগ করার কথাও জানান তিনি।মাগুরা-১ আসনে সাকিবের সঙ্গে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সিরাজুস সায়েফিন সাইফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকে কেএম মোতাসিম বিল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে সঞ্জয় রায় রনি এই পাঁচজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cb077d7a8 , আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ, মার্কিন দূতাবাসের সাধুবাদ "," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার নির্বাচনী দায়িত্বপালনকালে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) সঙ্গে অংশীদারিত্ব এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী গুলশানের ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি পার করার প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কৌশল সরবরাহ করা হয়।অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সিলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন। যা সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান এবং কৌশল সরবরাহ করে। অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন।বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসাবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে। যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018caf97a402, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে," মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। এতে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্বের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকের অধিকার আছে তাতে অংশ নেওয়ার। কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে তিনি তার অধিকার ক্ষুণ্ন করলেন। এতে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে, তাদের আহ্বান জানানো উচিত। বিএনপিকে আহ্বান জানানোও হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে না এলে কিছু করার নেই।এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করেছে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু কেউ যদি না আসে তাহলে সরকারের কিছুই করার নেই।মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া ও ভোট প্রদানে বাধ্য করা দুটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন।এর আগে, বেলা ১১টায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসি ও কমিশনের অন্যান্য কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের কাছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানান বিষয় তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D078, আমাদের সময়, ১১ জুন ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ সংলাপের প্রস্তাব দেয়নি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী," আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো বন্ধুরাষ্ট্র থেকে সংলাপের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।‘নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বসার জন্য চাপ আছে কি না’ এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে এ ধরনের (সংলাপে বসার) প্রস্তাবনা কেউ দেননি। আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা পাইনি।’তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক সংঘর্ষের পরিস্থিতি হলে জাতিসংঘ সেখানে থাকে। যুদ্ধের মতো কোনো পরিস্থিতি হলে জাতিসংঘ সেখানে থাকে। বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘকে যুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই।’আরও পড়ুন: ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের ব্যাখ্যা জানতে চায় বাংলাদেশনির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করছে। এটা অনেক সময় যথেষ্ট না। এটাকে সার্টিফাই করা লাগে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এসে দেখবেন, তারা বলবেন। সে বিষয়ে (পর্যবেক্ষকদের আসার বিষয়ে) যথা সময়ে নির্বাচন কমিশন থেকে যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হবে, সে আদেশ প্রতিপালন করা হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cac9e98f28, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনকে সার্থক করে তুলুন," মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয়প্রার্থী বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বলেছেন, আশা করছি আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নির্বাচনকে সার্থক করে তুলবেন। আমি বিজয়ী হলে সবার কথা শুনব। সবার পাশে থেকে সম্মিলিতভাবে মাগুরাকে সুন্দর একটি অবস্থানে নিয়ে যাব। এ জনপদ নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে।গতকাল বুধবার সকালে মাগুরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকায় একটি পথসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাকিব।ভায়না শান্তিবাগ মাঠে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব চোপদারের সভাপতিত্বে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমরি ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মীর শহিদুল ইসলামবাবু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মইনুল ইসলাম পলাশ, সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানসহবিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। পরে সাকিব আল হাসান শহরের ভায়না মোড়ে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cab5fc468, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, কাল ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন। কাল বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে তিনি ভার্চ্যুয়ালি এসব জনসভায় যুক্ত হবেন।আজ বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।এতে জানানো হয়, কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেনআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cab9cf053, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বোনের নির্বাচনী প্রচারণায় যা বললেন সোহেল তাজ," গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তার ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক সরজুবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বোন সিমিন হোসেন রিমির পথসভায় যোগ দেন তিনি। সিমিন হোসেন রিমি ও সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান।পথসভায় সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার বাবা প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের জন্য কাপাসিয়াবাসী সারাদেশে গর্ববোধ করে। আমার বাবার সৌজন্যে তারা বারবার নৌকায় ভোট দিয়ে আসছে, আমাকে দুইবার ও আমার বোনকে তিনবার জয়ী করেছে। জনগণের এ ভালবাসার প্রতিদান দিতে আমার বোন নিজ হাতে কাপাসিয়ার উন্নয়ন দেখভাল করেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘আজকে কাপাসিয়ার স্বাস্থ্যবিভাগ সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে। কাপাসিয়ায় মাতৃমৃত্যুর হার শূন্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে, এগুলো সোনার বাংলার কারণেই হচ্ছে। আজকের নতুন প্রজন্ম এগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ। নতুন প্রজন্মের জন্য আমরা তাজউদ্দিন আহমেদ ও জোহরা তাজউদ্দিন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা পাঠ্যপুস্তক, বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে চেষ্টা করছি ভালো মানুষ তৈরি করতে। কেননা ভালো মানুষই পারে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। আমরা ভালো মানুষ চাই, সোনার মানুষ চাই, যারা সোনার বাংলাদেশ গড়বে।’সোহেল তাজ বলেন, ‘আমাদের আরও কাজ বাকি রয়েছে, সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে, সমাজ থেকে অনিয়ম দুর করতে হবে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যার ফলে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত হয়। এসব কাজের নিশ্চয়তা শুধু নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার মধ্যেই হতে পারে।’পথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আমানত হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cac5536609, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী পোস্টারে ‘কিউআর কোড’," ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে সনাতনি প্রচারের পাশাপাশি নানা কৌশল অবলম্বন করছেন প্রার্থীরা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রচারে ঢাকার অন্তত দুটি আসনের পোস্টারে এসেছে নতুন সংযোজন। নৌকার দুই প্রার্থী তাদের পোস্টারে যুক্ত করেছেন ‘কুইক রেসপন্স কোড’ বা ‘কিউআর কোড’।এই দুই প্রার্থী হলেন- ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবিরনানক এবং ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে দলের মনোনয়ন না পেলেও এর আগে টানা দুইবার এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন নানক। এবার তার বিপরীতে তেমন শক্ত প্রতিপক্ষ নেই।মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। এবারই প্রথম তিনি ঢাকা থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বিএনপিবিহীন নির্বাচনে তার সামনেও কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।নানক ও নাছিমের ছবি সম্বলিত পোস্টারে যে ‘কিউআর কোড’ দেওয়া হয়েছে, মোবাইল ফোনের স্ক্যানারের মাধ্যমে তা স্ক্যান করলেই ভোটাররা নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের তথ্য পেয়ে যাবেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cac553ad412, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, গাজীপুরে বোনের নির্বাচনী প্রচারে সোহেল তাজ," জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে সোনার বাংলার জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।গাজীপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মেজো বোন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমির জন্য ভোট চেয়ে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে কাপাসিয়া উপজেলার টোক সরজুবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।পথসভায় সোহেল তাজ বলেন, আমার বাবা প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্য কাপাসিয়াবাসী সারাদেশে গর্ববোধ করে। বাবার সৌজন্যে আপনারা বারবার নৌকায় ভোট দিয়ে আসছেন।আমাকে দুবার ও আমার বোনকে তিনবার জয়ী করেছেন। জনগণের এ ভালোবাসার প্রতিদান দিতে আমার বোন নিজ হাতে কাপাসিয়ার উন্নয়ন দেখভাল করেছেন। আজকে কাপাসিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ সারাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে, কাপাসিয়ায় মাতৃমৃত্যুর হার শূন্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে, এগুলো সোনার বাংলার কারণেই হচ্ছে।পথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি এমপি, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cac5530ef6, আমাদের সময়, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে বদ্ধপরিকর ইসি : রাশেদা সুলতানা," নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। ইসির একার পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। সরকারের সকল বিভাগকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। গতকাল গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট সম্মেলনকক্ষে জেলার প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার দায়িত্ব মূলত প্রার্থীদের। এটি কমিশনের কাজ নয়। কমিশনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রনিশ্চিত করবে। সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে তা প্রশংসিত হবে দেশ-বিদেশে। নির্বাচন পরিচালনার অংশ না হয়েও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিকরা। তবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কাজ করতে হবে।জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018cab6b3e58, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বিরামহীন নির্বাচনী প্রচারণায় সালমান এফ রহমান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্রকে বিরামহীন প্রচারণায় চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবার সালমা ইসলাম পুনরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী না হয়ে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সালমান এফ রহমানের বিপক্ষে নির্বাচন করছেন।সালমান এফ রহমান গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার দিন থেকেই সংসদীয় আসন দোহার-নবাবগঞ্জে প্রচারণা শুরু করেন। সেদিনের পর থেকে চলছে বিরামহীন প্রচারণা। ভোটারদের দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তিনি।সালমান এফ রহমান প্রতিদিন দুটি থেকে তিনটিইউনিয়নে মতবিনিময় সভা করছেন। আজ বুধবার ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর, বিলাশপুর ও সুতারপাড়া ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠক করেন।এসময় সালমান এফ রহমান গত ৫ বছরে তার বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। ২০০১ সালে আমি যখন দোহারে নির্বাচনে আসি তখনও শুনেছি এই উপজেলার সবচেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন। ঠিক একইভাবে আমি যখন পুনরায় ২০১৮ সালে নির্বাচনে আসি তখনও একই সমস্যা নদী ভাঙ্গন। আপনারা জানেন ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৩৭ কিলোমিটার নদী রক্ষা বাধের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এনে দিয়েছি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেই কাজ চলমান।’দিনব্যাপী সালমান এফ রহমান মাহমুদপুর ইউনিয়নের চর হোসেন পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিচন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলাশপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ, সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রাঙ্গণ, মারুয়ুপতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরহুম শামসুল হক ফুরকানিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠক করেন।সালমান এফ রহমান তার সংসদীয় আসন দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কোনো গ্রামই বাদ রাখছেন না। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়াসহ বিভিন্ন পন্থায় প্রচারণা-গণসংযোগ অনেকটাই শেষের পথে। এক কথায় বলা যায় দিন যত ঘনিয়ে আসছে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সালমান এফ রহমান। প্রতিটি সভায় এমপি সালমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। আবার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca982adc5, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১১ বিষয়ে অগ্রাধিকার," আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে এবারের ইশতেহার ঘোষণা করবে দলটি।আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca9aeedde, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল উপস্থিত হয়েছেন।এ ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানো, আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ বেশ কিছু খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।এ ছাড়া এবারের ইশতেহারে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন সরকারের বদলে যাওয়া দৃশ্যপট তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি এবার নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে- দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের সন্ত্রাস রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca777a3098, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, অবশেষে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন জাপার প্রার্থীরা," দেরিতে হলেও খুলনা জেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারে আনুষ্ঠানিকভাবে নেমেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীরা। গতকাল সকাল থেকে খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে প্রচারাভিযান শুরু করে স্ব স্ব আসনের প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা।দলীয় সূত্র জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু হলেও খুলনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনী কর্মকা- থেকে বিরত ছিলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ খুলনার একটি আসনেও মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় না দেওয়ার কারণে এতদিন দলটির প্রার্থীরা প্রচারে নামেননি। বিশেষ করে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। ফলে দলের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নির্বাচন বয়কটের দাবি জানান। এ অবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় অধিকাংশ নেতাই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। এ ছাড়া খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মো. শাহীদ আলম ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচন থেকে এখনই সরে যাওয়ার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেন। তবে অন্য তিন প্রার্থী খুলনা-১ আসনের কাজী হাসানুর রশিদ, খুলনা-২ আসনের মো. গাউসুল আজম এবং খুলনা-৪ আসনেরমো. ফরহাদ হোসেন দলের নেতাকর্মীদের মনোভাবের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে মত দেন।ওই দিন তুমুল হইচই ও হট্টগোলের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশেষ সভা। স্থানীয় নেতারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আনেন। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপে খুলনায় ৬টি আসনের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা গতকাল সকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামেন।সকালে খুলনা-২ আসনের প্রার্থী মো. গাউসুল আজম ডাকবাংলোস্থ কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন। এ ছাড়া অন্য আসনের প্রার্থীরাও প্রচার শুরু করেছেন। দেরিতে হলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচনী প্রচারে নামায় খুলনার ভোটে কিছুটা হলেও গতি আসবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, নেতাকর্মীদের দাবি ছিল জাতীয় পার্টিকে খুলনা-৬ আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ছাড় না দেওয়ায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তবে সেই রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ভুলে আমরা খুলনার সব কটি আসনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী মাঠে থাকব।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca74c7a0b8, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বিশে^র তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে," আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। তবে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে তারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ সার্বিক কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র ও পরিচালক আব্দুল জাব্বার খান এ কথা বলেন।জাব্বার খান বলেন, নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে, যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে না হলেওআমাদের মনে হচ্ছে, মানুষ নির্বাচনমুখী। তবে ভোটারদের অংশগ্রহণ কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হচ্ছে, তা জানতে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ফোরামের ইএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c35d5fdf78, আমাদের সময়,০৫ ডিসেম্বর ২০২৩,অবসরের তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন নয় : হাইকোর্ট," চাকরি থেকে অবসর বা পদত্যাগের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না- এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের পর তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। গতকাল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার তিন বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীসংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। ১৯৭২ সালের আরপিও ২০০৯ সালে সংশোধন করে নির্বাচন সংক্রান্ত তিন অধ্যায়ের ১২(১) ধারায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতা শর্ত যুক্ত করা হয়।সংশোধিত এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে আলাদা চারটি রিট করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র প-িত।রিটে বলা হয়, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে দেশের সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ফলে পদত্যাগ বা অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারার আরপিওর ২৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। একই সঙ্গে তা সংবিধানের ৬৬(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব রিটের প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্ট ধারাটি কেন অবৈধ ও সংবিধানের ২৭ ও ৬৬(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। পরে আলাদা চারটি রুল একীভূত করে চূড়ান্ত শুনানি হয়।আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে রিট আবেদনগুলো রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল রুল খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আরপিওর ধারাটি কোনোভাবেই সংবিধান পরিপন্থী বা সাংঘর্ষিক না। ফলে আরপিওতে যা আছে তা-ই বহাল থাকছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca5874304, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন কুয়েত প্রবাসীরা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শুধু দেশের মানুষই নয়, প্রবাসীদের মধ্যেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাজের ফাঁকে অবসরে রুমে, চায়ের দোকানে কয়েকজন মিলিত হলে শুরু হয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চলছে নানা হিসাবনিকাশ।সব প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের দেখার প্রত্যাশা প্রবাসীদের। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশের রাজনৈতিক সংগঠনের প্রবাসী নেতারা নিজের পছন্দের দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন।কুয়েত প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে বাংলাদেশে যাব।আমি আশা করি প্রবাসীরা যেনো পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের এই প্রত্যাশা।’প্রবাসীরা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করার কারণে স্বল্প সময়ের জন্য ছুটিতে এসে অনেকেরই ভোটার হওয়া সময় সুযোগ থাকে না। সে কারণে জনসংযোগ, সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভোট দেওয়ার স্বাদ মিটবে না তাদের অনেকের। ছুটিতে আসা প্রবাসীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এনআইডি সেবা দেওয়ার দাবি জানান।’প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক ভুঁইয়া বলেন, ‘দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী থাকেন, যাদের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা বিমানবন্দরে হয়রানি, মৃত প্রবাসীর মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনাসহ আরও অন্যান্য সমস্যা-সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে প্রবাসীদের মধ্য থেকে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন রাখা জরুরি।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca74c79a910 , আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না : ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচন আমরা ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।দলের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এজেন্টরা অনেক সময় আকামের হোতা হয়। ভেতরে বসে দলের জন্য অতি দরদ দেখাতে গিয়ে নির্বাচনের শৃঙ্খলা হুমকিতেফেলে, এই এজেন্ট আমাদের দরকার নেই। দলে সুনাম যেন থাকে, এ রকম দায়িত্বশীল এজেন্ট আমাদের দরকার।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভেতরে যারা থাকবেন ভোট দিতে সাহায্য করবেন, কিন্তু ভোট কাকে দেবে, সে বিষয়ে প্রভাবিত করবেন না। এটা নিয়ম নয়।’ তিনি ‘একটা বিষয় অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়- দায়িত্বশীল নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। এমপি ছিলেন, মন্ত্রীও ছিলেন- এমন লোকেরা ধমকের সুরে এখনো কথা বলে। এখনো ক্ষমতার দাপট যারা দেখায়, তাদের মুখ বন্ধ করতে হবে।’আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিছু লোকের কথা শুনলে অবাক লাগে, এরা কীসের জনপ্রতিনিধি? যারা বাজে কথা বলে, এদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কেউ ভোটের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। যারা করবেন, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাব।’এজেন্টদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ইইউ দলে নেতৃত্ব দেন ডেভিড ওয়ার্ন। আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ওবায়দুল কাদের। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ইইউ দল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে। কথা হয়েছে বিএনপির নির্বাচন প-ের সহিংসতা নিয়ে।’আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যে কেউ ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন। এখানে দোষের কিছু নেই, সে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কাউকে বহিষ্কার বা সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার জেলা-উপজেলা কমিটির নেই। তারা শুধু কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca17931b7, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের ট্রেন যারা মিস করেছে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না: নাসিম," আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন একটি আরেকটির পরিপূরক। যারা নির্বাচনে আসেনি ও অংশগ্রহণ করেনি, তারা ট্রেন মিস করেছে। তারা আর কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না।’আজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগে গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এখন যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। হরতাল অবরোধের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। মানুষের মালামালের ক্ষতি করছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাদের সমর্থন শূন্যের কোটায় গিয়ে পৌঁছেছে। মানুষ এখন এসব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এরা সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ। এরা সাম্প্রদায়িক ও নেতিবাচক রাজনীতি করে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা এরা কখনোই বোঝে না। যার কারণে তাদের আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে না।’তিনি আরও বলেন, ‘ভোট নিয়ে মানুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা, জাগরণ ব্যাপক আকারে রয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। মানুষের এই আগ্রহ হলো তাদের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা। আমি অলিতে গলিতে যেখানেই প্রচারণার জন্য গিয়েছি মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। যে রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে থেকে, তাদের জন্য কাজ করে সেটি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যার কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের এত ভালবাসা ও সমর্থন।’নাসিম আরও বলেন, ‘ঢাকা ৮ আসনের উন্নয়ন ও মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের জন্য আমি কাজ করব। এই এলাকার মানুষের প্রত্যাশা হল মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত একটি এলাকা। এখানে যাতে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকে সেজন্য আমি কাজ করব। নারীর ক্ষমতায়ন যাতে বৃদ্ধি পায় এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে তার জন্যও আমি কাজ করব।’এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ১৯ নং ওয়ার্ডের কাকরাইল মোসাফির টাওয়ার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন বাহাউদ্দিন নাছিম। এরপর শান্তিনগর মোড়, আনারকলি মার্কেট, সিদ্ধেশ্বরী এলাকা, রমনা কমপ্লেক্স এলাকায় পথসভা করেন। পরে বিকেল ৪ টা থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ মার্কেট, মৌচাক মোড়, মালিবাগ ফাস্ট লেনে পথসভা, মালিবাগ মিনার মসজিদের সামনে গণসংযোগ, পিডব্লিউডি কলোনি এলাকায় পথসভা, গুলবাগ পানির পাম্প এলাকায় গণসংযোগ, গুলবাগ জামে মসজিদ এলাকায় গণসংযোগ, গুলবাগ ক্লাব মসজিদ এলাকায় গণসংযোগ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে পথসভা করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca5a64ff0, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, বিরোধীদল নির্বাচনে আসলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিরোধীদল নির্বাচনের বাইরে থাকুক, এটা আমরা কখনোই চাইনি। অনেকেই এসেছেন কিন্তু বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।’আজ মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুস্থ ও সুষ্ঠু করবে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল তারা না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না, ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোটায় যাবে। এরকম দুঃস্বপ্ন নিয়ে তারা আন্দোলন করে ব্যর্থ। এখন তারা সরকার কীভাবে ব্যর্থ হবে, ভোটার টার্নওভার কীভাবে কম হবে এবং নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে না বলে নানান গল্প বলে যাচ্ছে।’দলীয় এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আমরা খুব ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে চান। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে। সে ব্যাপারে পোলিং এজেন্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’তারেক রহমানের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি এখন রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিটাকে ধ্বংস করছেন। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। তার বাবা জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca582403a, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী, কারচুপি হতে দেবে না"," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন কমিশন (ইসি) খুবই শক্তিশালী। এবার তারা কোনো ধরনের কারচুপি হতে দেবে না। শেখ হাসিনার সরকারও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় আজিজ মার্কা ইলেকশন কমিশন ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোট দিয়েছে। এখন যাতে ভুয়া ভোট না হয় সেজন্য আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করেছি।’তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের কোনো ধরনের ভয়ভীতি দেখানো যাবে না। প্রতিটি বুথের নিরাপত্তায় প্রশাসন কাজ করবে।’বিএনপি ও তাদের সমমনাদের সমালোচনা করে ড. মোমেন বলেন, ‘যারা ভোট বর্জন করে, তারা গণতন্ত্রের লোক না। সরকার পরিবর্তন করতে হলে ভোট প্রয়োজন। অন্য কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন করার নিয়ম দুনিয়ার কোথাও নেই।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca024e3c8, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বিরোধীদের বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা: নানক," আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-১৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।এ সময় প্রয়োজনে দলীয়ভাবেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আজ সোমবার ঢাকা-১৩ আসনের মোহাম্মদপুর এলাকার সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে গণসংযোগে নেমে আওয়ামী লীগের এই নেতা এসব কথা বলেন। গণসংযোগে ভোটারদের সাড়া দেখে নিজ অনুভূতি প্রকাশ করে নানক বলেন, ‘আমি ভোটারদের যে সাড়া পাচ্ছি তাতে আমি আত্নহারা হয়ে গেছে। মানুষের যে আমার প্রতি এত ভালোবাসা, এত স্নেহ, মায়া ও মমতা, তা দেখে আমি ব্যাকুল হয়ে গিয়েছি। এ এলাকার মানুষের কাছে গত ৫ বছর পরে ফিরে এসে আমি যেন আমার মাতৃকূলে ফিরে এসেছি।’এ সময় বিএনপি-অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নষ্ট করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। সোমবার সকালে ২৯নং ওয়ার্ড-এর সূচনা কমিউনিটি সেন্টার সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন নানক। এ সময় তার বিপুল কর্মী ও সমর্থক ওই গণসংযোগে অংশ নেন। নৌকা নৌকা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। একটি খোলা জিপে নানক জনসাধারণের উদ্দেশে অভিবাদন জানান। পরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টার থেকে রিং রোড হয় তাজমহল রোডে গণসংযোগ করেন নানক। এ সময় উৎফুল্ল সাধারণ জনতা পুস্পবৃষ্টির মাধ্যমে নৌকার এ প্রার্থীকে বরণ করে নেয়। এর পর ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে সালাম জানিয়ে নৌকায় ভোট চান আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা। এদিকে নানকের গণসংযোগে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষও ঘর থেকে বের হয়ে নৌকার এ প্রার্থীকে সালাম জানান। অনেকে ওই এলাকার গতবারের এ সংসদ সদস্যকে একবার দেখতে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার আশাবাদ লক্ষ্য করা গেছে। গণসংযোগ চলাকালে তাজমহল এলাকায় এক নারী ভোটার নৌকার পক্ষে নিজের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ান। তিনি বলেন, ‘নানক ভাই এই এলাকার জন্য অনেক কিছু করছেন। আমরা অবশ্যই তাকে ভোট দিতে হলেও ভোটকেন্দ্রে যাব।’গণসংযোগে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca12e75cd, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠান ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়া রহমান।এতে বলা হয়েছে, প্রচারপত্রে প্লাস্টিকজাত/পলিথিন ব্যবহারে বাধা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পরিবেশ বান্ধব এবং একটি ‘সবুজ’ নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যক্রমে বর্জ্য উৎপাদন কমানো/নিরুৎসাহিতকরণ, প্রচারপত্রে প্লাস্টিকজাত বা পলিথিনের আবরণ কিংবা প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) ব্যবহার বন্ধকরণসহ প্রচার কাজে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে।যদিও কুয়াশা ও বৃষ্টির পানিতে পোস্টার ভিজে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে কাগজের পোস্টারে পলিথিনে মুড়ে দিচ্ছেন প্রার্থীরা।প্রসঙ্গত, সরকার ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আইনে পলিথিন উৎ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca2046a6f9, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বিরোধীদের বাধা দিলে ব্যবস্থা : নানক," আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বিরোধী প্রার্থীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-১৩ আসনে নোকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রয়োজনে দলীয়ভাবেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেন তিনি। নানক বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নষ্ট করতে পারবে না। গতকাল ঢাকা-১৩ আসনের মোহাম্মদপুরে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।গণসংযোগে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মাহমুদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9db2d1965, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা কমেছে বিদেশিদের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের অতি-তৎপরতা কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি বলেন, বিদেশিরা বুঝতে পেরেছেন যে, সন্ত্রাসীদের প্রমোট করলে তাদের নিজেদেরও বারোটা বাজবে। রবিবার সকালে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ভোট চেয়ে প্রচারণা করেন মন্ত্রী।নির্বাচনে না এসে বিএনপি বাজে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিএনপি পিছিয়ে পড়েছে। তারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, কিন্তু আমরা তাদের আমলে নিচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, নিজেদের কর্মসূচিতে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।এখন বিদেশিরাও তাদের আর পাত্তা দিচ্ছে না। কারণ আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই এবং সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু যারা ভোটে আসেননি তাদের সমর্থকরা অদৃশ্য ভোটার হয়ে যান। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এটা দেখা গেছে। সবাই মিলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলে এসব অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।সকালে জিন্দাবাজার এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান সিলেট-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এ সময় সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া আরও চারটি নিবন্ধিত দলের চার প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় তাদের কাউকেই তেমন একটা দেখা যায়নি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca0faa2ad, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চান ওবায়দুল কাদের," নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত ঘোষণা। বর্তমানে এনডিআইসহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আছেন, তাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির “জিরো টলারেন্স” নীতি অব্যাহত থাকবে। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।’দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা অর্থনৈতিক খাতে লুটপাট হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার জবাব একটাই, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। এই টাকাগুলো কোথায় আছে? সন্ধান দিলে তখন আমরা জবাব দেব। আমাদের জানা নেই।’সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিমসহ আরও অনেকে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9fca0356, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, দলে নির্বাচন বিরোধী সহিংসতা সমর্থন করি না: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নৌকার প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কারোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অধিকার নেই। নির্বাচন বিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সেটাকেই সমর্থন করব।’আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নামে যারা নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা সব সময়ই থাকে। আমাদের এ অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিষয়টা সব সময়ই থাকে। তবে আমি বড় ধরনের কোনো সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না।’একইসঙ্গে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সময়মতো আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করব। সেখানে দেশি-বিদেশী অনেককেই আমন্ত্রণ জানাব।’১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে সিপিডির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিপিডির কাছেই ওই টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে।’দেশের শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে, এমনটাও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9db2d46e10, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের সময় চলবে যেসব যান," আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কোন কোন যানবাহন চলতে পারবে, তা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি। গতকাল পাঠানো এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে) চলতে পারবে। সাংবাদিকতা, ভোট পর্যবেক্ষণ অথবা জরুরি কোনো কাজে রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে মোটরসাইকেল চালানো যাবে। অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচাররীরা মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c35d5f9b33, আমাদের সময়,০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, এই নির্বাচন বাকশালের নতুন ভার্সন," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিবন্ধিত ২৯ দলের মধ্যে তিন-চারটি ছাড়া অন্য দলগুলোর নাম কেউ শোনেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, স্বগৃহে ইলেকশন থিয়েটারে রঙ্গনাটক মঞ্চস্থ করতে যাদের আনা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগেরসঙ্গ-অনুষঙ্গ। এটা আসলে বাকশালের নতুন ভার্সন। আপডেটেড বাকশাল ২.০ ভার্সন। এই তথাকথিত বাকশাল সঙ্গীদের নিয়ে ‘সুপার-ইমপোজড’ নির্বাচনের আজব তামাশা করছে ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে গতকাল সোমবার দলের পক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দল এই নির্বাচন বর্জন করে সরকারের পদত্যাগসহ একদফা দাবি ও নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এই নির্বাচনকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, একদিকে যেমন চলেছে প্রার্থী বেচাকেনা, তেমনি তাদের রাজি করাতে কাজে লাগানো হয়েছে চাপপ্রয়োগের কৌশলও। মামলা, হামলা, হুমকি কোনো কিছুই বাদ যায়নি এ থেকে। কথিত দু-তিনটি রাজদল বা কুইন্স পার্টি নামকাওয়াস্তে গঠন করে বিএনপিসহ সব জনপ্রিয় দলকে দূরে সরিয়ে নির্বাচনের পাতানো খেলার তাদের মাঠে নামানো হয়েছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, গত দুই মাসে প্রায় ২০ হাজার মুক্তিকামী জনতাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি নির্যাতনের নেপথ্যে কাহিনীও অবর্ণনীয়। চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা, অসুস্থ বন্দিকে হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে কারা হাসপাতালে ফেলে রাখা, ছোট্ট সেলে ধারণক্ষমতার তিনগুণ বন্দিকে গ্যাস চেম্বারের মতো নিগৃহীত করা- এসব চলছে। অত্যাচারে কাশিমপুর কারাগারে ৬ দিনের ব্যবধানে বিএনপির দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9d0084ca, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩ জেলায় নির্বাচনী সামগ্রী যাচ্ছে আজ," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ১৩ জেলায় ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী আজ সোমবার থেকে সরবরাহ করা হবে।প্রথম ধাপে যে ১৩ জেলায় ব্যালটপেপার যাবে সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাঙ্গামাটি, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা। সব জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার কাভার্ডভ্যানে পরিবহনের জন্য অনুরোধ করেছে। চিঠিতে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সাথে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বরাবর ২৫ ডিসেম্বর গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, বিজি প্রেস ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে বিতরণ করা হবে। তবে কোনো নির্বাচনী এলাকায় মামলা সংক্রান্ত অন্য জটিলতা থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলার ব্যালট পেপার বিতরণের তারিখ পরিবর্তন করা হতে পারে।ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সাথে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড গ্রহণ করার জন্য পরিপত্র-১৪ অনুসরণ করে সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার অথবা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে (সহকারী কমিশনার/সিনিয়র সহকারী কমিশনার) দুই প্রস্থ লিখিত ক্ষমতাপত্র নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রেসে প্রেরণ করার জন্য সকল রিটার্নিং অফিসারকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার কাভার্ডভ্যানে পরিবহন করার জন্যও অনুরোধ করা যাচ্ছে বলে ইসি সূত্র জানায়।চিঠিতে বলা হয়, ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ক্রয় ও মুদ্রণ শাখা থেকে ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে চালান সংগ্রহ করে নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে স্ট্যাম্প প্যাড সংগ্রহ করবেন। এই কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা সঙ্গে আনবেন এবং নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম ও প্রতীক এবং ভোটার সংখ্যার সঠিকতা যাচাইপূর্বক ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার বুঝে নিবেন। এছাড়া, ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ করতে আসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল পরিচয়পত্র সাথে রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। বাসস",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9d0d9aad2, আমাদের সময়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে," ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচন স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। গতকাল রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরটাউন হলের সামনে নির্বাচনী জনসংযোগের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিশ্ব মোড়লদের জানান দেন যে আমরা বাঙালি জাতি আমাদের ভাগ্য নির্ধারক। আমরাই সরকার নির্বাচিত করি। ঢাকা-১৩ আসনে অত্যন্ত উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই আসনে আরও প্রার্থী রয়েছে। তারা সবাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।রবিবার সপ্তম দিনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9c48aaf7, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ঢাকায়," আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) পাঁচ সদস্যের যৌথ প্রতিনিধিদল।আজ রবিবার আইআরআই ও এনডিআই সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।বিবৃতিতে জানানো হয়, যৌথ প্রতিনিধিদল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতার পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি সীমিত মূল্যায়ন করবে।দলটিতে পাঁচজন বিশ্লেষক রয়েছেন। তারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি পেয়েছেন। তারা ছয় থেকে আট সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন।বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিনিধিদল বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা, আন্তঃদলীয় সহিংসতা, নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠী লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইন হয়রানি ও হুমকি, সেই সঙ্গে এ ধরনের সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা মূল্যায়ন করবেন।নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে প্রতিনিধিদলটি ভবিষ্যৎ নির্বাচনে সহিংসতা কমাতে গঠনমূলক সুপারিশসহ নির্বাচনী সহিংসতার ওপর একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।এর আগে এনডিআই-আইআরআইয়ের যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশে আসে করেন। সেই মিশন পাঁচ দফা সুপারিশ করে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9bb3910a, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে পোলিং এজেন্টদের: সিইসি," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিও তাই। কারচুপিহীন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পোলিং এজেন্টদেরই নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিকভাবেও পুরোপুরি সদিচ্ছা রয়েছে তা আমরা এখনও লক্ষ্য করছি। নিরপেক্ষ আচরণের কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, যা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।’আজ রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি হলো ভোটের দিন। ওই দিনের নির্বাচনী পরিবেশ কেমন স্বচ্ছ ছিল, দৃশ্যমান ছিল, জবাবদিহিতামূলক ছিল, সেটাই দেশবাসীর কাছে প্রতীয়মান হবে। এমনকি সেটা বহির্বিশ্বের কাছেও প্রমাণ রাখবে যা সফল নির্বাচনের প্রতীক। সর্বজনীন নির্বাচনী আস্থা হয়তো বা এখনো গড়ে উঠতে পারেনি, নির্বাচনী সংশয় এখনো কাটেনি। কিন্তু কর্ম ও সততার দ্বারা আমরা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ফলাফল দিতে চাই। জনগণ ও বিশ্বের কাছে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য আস্থা অর্জন করতে চাই। এ জন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করছে নির্বাচন কমিশন।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এমন একটি জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন আমরা অনুষ্ঠিত করতে চাই যার পেছনে কোনো বৈদেশিক জল্পনা-কল্পনা থাকবে না। দ্বিধা, প্রলোভন, অনুরোধ, অভিযোগ সবকিছুর ঊর্ধ্বে নির্বাচনী আয়োজন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ছয়টি জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c357bebaa, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনী কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, ইউপি চেয়ারম্যানকে অর্থদণ্ড"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।গতকাল রবিবার রাতে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনজন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজীকে অর্থদণ্ড করেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা নিশ্চিতের জন্য সরকারিভাবে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামের অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। এটি শুধু রোগীদের সেবার জন্য ব্যবহার করা হবে। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী ওই অ্যাম্বুলেন্সে লোক নিয়ে জেলা শহরে সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাড়িতে যান। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ৩ সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কাজ করেও তিনি বিধি লঙ্ঘন করেছেন। এতে তাকে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার বিধি ১৪ এর ২’ লঙ্ঘনের দায়ে বিধি ১৮ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ। এরপরও দুজন মেম্বারকে (ইউপি সদস্য) নিয়ে স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্সে করে এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে লক্ষ্মীপুর গিয়েছি। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের কথা জানান।’ইউএনও অনজন দাশ বলেন, ‘স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের সেবার জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করেছেন। ভোটের ৩ সপ্তাহ আগে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca74c77221, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না," আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ও দলের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী জনসংযোগের আগেসাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ৩২নং ওয়ার্ড লালমাটিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন নৌকার এ প্রার্থী।নানক বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু কোনো লাভ হবে না। দেশের জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের মধ্য দিয়ে অপশক্তিকে রুখে দেবে। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এ নেতা বলেন, সব প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে জয়ী হতে হয়। তাই নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় প্রার্থীদের সহিংসতায় না জড়ানোর অনুরোধ জানান নানক।নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ১৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca74c77cf2, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি এলে একটি ভালো নির্বাচন হতো ," আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি এলে একটি ভালো নির্বাচন হতো। আমরাও চেয়েছিলাম তারা নির্বাচনে আসুক, কিন্তু আসেনি। উল্টো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। তারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বিএনপি ট্রেনে-বাসে আগুন দিচ্ছে,দেশের সম্পদের ক্ষতি করছে। তারা নাকি নির্বাচনও হতে দেবে না। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত ‘আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহাজোটের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca6bfbb07, আমাদের সময়, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন ঘিরে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিন," জাতীয় নির্বাচন এলেই ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে কালো টাকার বিষয়টি। যদিও নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে সবসময়ই তাগিদ দেন অর্থনীতি ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। কিন্তু সে তাগিদ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় না। প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে কালো টাকা। এমনকি মাঠ পর্যায়ে পেশিশক্তির উত্থানেরও অন্যতম নিয়ামক এই কালো টাকা, যার ফলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যায়।এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঠিক একইভাবে আলোচনায় আসছে কালো টাকার বিষয়টি। কেননা এবারের নির্বাচনেও অবৈধ পথে টাকার পাহাড় গড়ে তোলা বহু ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে হাজির হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে ওই প্রার্থীরা বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বিতরণ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ভোটারদের প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নির্বাচন আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সুষ্ঠু ভোটের অন্তরায়।আমরা মনে করি, নির্বাচনী আইনে যে পরিমাণ টাকা ব্যয়ের বিধান রয়েছে, সেটা যেন হয়, নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। রঙিন পোস্টার করা যাবে না। ট্রান্সপোর্ট দিয়ে ভোটারদের আনা নেওয়া করা যাবে না। রাতের অন্ধকারে টাকা লেনদেন নিষিদ্ধ। এমন নিয়মগুলো কাগজে-কলমে না রেখে বাস্তবায়ন করা জরুরি। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটকে আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা বৃদ্ধি আবশ্যক। এ ক্ষেত্রেনির্বাচনের আগে ব্যাংকগুলোতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে নজরদারি জোরদার, বিশেষ করে যেসকল আসনে কালো টাকা ব্যবহারের ঝুঁকি বেশি রয়েছে, সেসব আসনে নির্বাচনের চার দিন আগে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সকল প্রকার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ রাখতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে পেশিশক্তির উত্থান ও সহিংসতা ঠেকাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী: সংসদ সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca6d1a9ba, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা হবে কাল," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বক্তব্য দিবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দিবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক।ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারের মূল থিম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায় সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।ইতোমধ্যে সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির মনোনীত প্রার্থীরাও মাঠে নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018ca618d54c, আমাদের সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘নির্বাচনী মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স নামলে প্রার্থীদের অস্থিরতা কমে যাবে’," নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে শোকজ করেছে অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ১৫০ জন শোকজের উত্তর দিয়েছেন। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। আইন অনুযায়ী প্রথমে শোকজ, পরে মামলা হচ্ছে। এতেও কাজ না হলে অথবা আচরণবিধি লঙ্ঘন চরম পর্যায়ে গেলে তখন প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এছাড়া, নির্বাচনী মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স নামলে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অস্থিরতা কমে যাবে।’আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আনসার সদস্যের পাশাপাশি পুলিশের সংখ্যা বেশি থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সংখ্যাটা কম থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে সমস্যা হলে সেগুলো অতিগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১৪৯টি কেন্দ্রের মধ্য ১০ হাজার ৩০০টি ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।আজ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ৩০০ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে। তবে, প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রেরক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c96225189, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ভোটবিরোধী লিফলেট বিতরণ করলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন," ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ হচ্ছে এমনটা চোখে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমাদের কাছে হেভিওয়েট বা লাইট ওয়েট বলে কেউ নেই। যার বিরুদ্ধ অভিযোগ আসবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোডাউন করতে পারবে না কেউ। উৎসবমুখর ভোট থাকবে ইনশাআল্লাহ।’স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের কেন আচরণবিধি মানাতে পারছেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা পারছি না, এই বক্তব্যে একমত হতে পারছি না। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা ঘুরে আসছি। আচরণবিধি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজকেও আমরা কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল রবিবার সেসব তথ্য পেলে দেখবেন যে কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মারা গিয়েছেন। আমরা কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।’পুলিশ কেন অবেহলা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা শুনলাম এটা কিন্তু সকাল বেলা তিনি তার বাড়ি থেকে কোনো একটা জায়গায় যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারা উভয়েই একই বংশের, তাদের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছিল, সে কারণেই হয়েছে, নাকি নির্বাচনের কারণে হয়েছে- এই বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। নির্বাচনের কারণে অনেকে ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিও সামনে আনছে। আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গেই দেখব। এখানে যে কারও মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। এভাবে মৃত্যু, একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। এজন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। একটু সময় দেন। বাকিটা আপনারা দেখবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘মাঠেও একই কথা বলেছি। কেউ ভোটে নাও আসতে পারেন, ভোট দিতে নাও পারে। ভোট প্রতিহত করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু অন্যকে প্রতিহত করলে আমরা এবার সংশোধনী এনেছি যে সাতবছর পর্যন্ত জেল বা অর্থদণ্ড করার জন্য। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট সবাইকে বলেছি যে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কোনো কার্পণ্য যাতে না হয়। কাজেই কোনো ব্যত্যয় হবে না।’যদি ব্যত্যয় হয় তাহলে কোন ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘দায়িত্ব অবহেলা হলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই আমরা ছাড় দেবো না। প্রার্থিতা বাতিল হবে, কোনো না কোনো জায়গায় কারও না কারও। এইটুকু আভাস আমি দিয়ে রাখলাম।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9b478731, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক: নানক," ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচন স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক।’আজ রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে নির্বাচনী জনসংযোগের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে নানক বলেন, ‘আমাকে ভোট দেন, আর না দেন—দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিশ্ব মোড়লদের জানান দেন যে—আমরা বাঙালি জাতি আমাদের ভাগ্য নির্ধারক। আমরাই সরকার নির্বাচিত করি।’ঢাকা-১৩ আসনে অত্যন্ত উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই আসনে আরও প্রার্থী রয়েছে তারা সবাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ৭ জানুয়ারি যে ভোট হবে তা হচ্ছে ভোটারদের উৎসব।’ আজ সপ্তম দিনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c95d45a5d, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে গুজব ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ ফেসবুক-গুগলের," বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন গুজব ও মিথ্যা ছড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে ফেসবুক-টিকটক-গুগল বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে ডিজিটাল মাধ্যমে চলছে প্রচার-প্রচারণা। তবে প্রচারণার নামে নিজেদের প্লাটফর্মে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াতে দেবে না ফেসবুক, টিকটক ও গুগল।ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা কিংবা উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ৪০ হাজার কর্মী। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যে কোনো তথ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৮ নভেম্বর, বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন নিয়ে পলিসি ঘোষণা করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। তারা বলছে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা নিরাপদ করতে ৪০ হাজার কর্মী কাজ করছে। এসব কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়া কিংবা ভোট প্রদানে ভোটারদের বাধা, উস্কানিমূলক বক্তব্য যা দ্বারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা তৈরি হয় এসব কনটেন্ট চোখে পড়লে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।টিকটক জানিয়েছে, নির্বাচনে সরাসরি মিথ্যা তথ্য, সহিংসতা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রচার নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি গাইডলাইনসে দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটার নিবন্ধন, ব্যালট গণনা ও নির্বাচনের ফলসহ আরও অনেক বিষয় নীতিমালার আওতায় পড়বে। সব নিয়মের ভিত্তিতে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত সরিয়ে দেবে প্ল্যাটফর্মটি। শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নির্বাচনের সঠিক তথ্য জানাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার’ নামে হাব তৈরির কথা জানিয়েছে টিকটক।বিটিআরসি বলছে, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ফেসবুক, টিকটক ও গুগলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অরাজকতার ঘটনা এর আগে অনেকে দেখা গেছে। মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এগুলো ছড়ায়। এতে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়। কিন্তু এবার ফেসবুক-গুগল সজাগ আছে। আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। গুজব বা সহিংসতামূলক কোনো কনটেন্ট দেখলেই তারা দ্রুত তা সরিয়ে ফেলবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c94b303e8, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বিকেলে ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা," আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন। গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে ছয় জেলার নির্বাচনী ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন। তিনি পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটির জনসভায় ভাষণ দেবেন।এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।এর আগে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৫ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c92b918753, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে এসএমএস করতে পারবেন প্রার্থীরা," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আচরণবিধি মেনে ভোটারদের মোবাইলে এসএমএস পাঠাতে পারবেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক কিংবা দলের নামও ব্যবহার করা যাবে। একই সঙ্গে ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকায় জনগণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির উপপরিচালক মো. আসিফ ওয়াহিদের সই করা এক বিজ্ঞিপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগের নির্দেশনার ১৮.৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এবার এই সুযোগ দেওয়া হলো।বিজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে দল কিংবা ব্যক্তি ও প্রতীক উল্লেখ করে ভোটচাওয়ার জন্য এসএমএস পাঠাতে পারবেন। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকায় জনগণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস পাঠাতে পারবেন।মোবাইল অপারেটররা বলছে, সেবা নিতে প্রার্থীরা এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও। এর আগে কোনো নির্বাচনে মোবাইলে প্রার্থীর হয়ে এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে বিটিআরসির একটি নির্দেশনা ছিল। দলীয় প্রতীক কিংবা দলের নাম ব্যবহার করে গ্রাহককে কোনো এসএমএস পাঠাতে পারবে না মোবাইল অপারেটররা। এবার সেই নির্দেশনা সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি দিল বিটিআরসি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c92fc513a9, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করতে চায় না সরকার -কামরুল ইসলাম," কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করতে চায় না সরকার। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন আওয়ামী লীগ ভোট উৎসব করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা-২ আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দি এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কোন দল এলো, তা দেখার বিষয় নয়, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়াটাই মুখ্য বিষয়। নির্বাচনের পাশাপাশি অশুভ শক্তিকে বিতাড়িত করতে হবে। কালিন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মোস্তানের সভাপতিত্বে জনসভায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9386eef29, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন দাবি বাম নেতাদের," সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফাভাবে পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম দলের নেতারা। তারা বলেন, এ নির্বাচন দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। দেশকে ভয়ংকর পরিণতির হাত থেকে বাঁচাতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিও জানান বাম নেতারা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে নেতারা এ দাবি জানান। ‘সভা-সমাবেশের ওপর সংবিধানবিরোধী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে’ মুখে কালো কাপড় বেঁধে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার একতরফাভাবে আগামী ৭ জানুয়ারি পাতানো ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। দেশকে ভয়ংকর পরিণতির হাত থেকে বাঁচাতে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনী তফসিলে নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে এখনো তা সম্ভব। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে জরুরি অবস্থা ছাড়া এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সংবিধানবিরোধী।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন একই দলের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ মার্ক্সবাদীর নেতা জয়দীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c92b6b58010, আমাদের সময়, ২৩ডিসেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের কথা নির্বাচনের পর মহাসচিবের মুখপাত্র," বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর এই ইস্যুতে সংস্থাটি কথা বলবে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগাদার পুনরাবৃত্তি করেন।জাতিসংঘের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানাই যেখানে মানুষ কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়া স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। স্পষ্টত, নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে, তবে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ট্রেনেঅগ্নিকা- ও প্রাণহানি সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা সেই ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহত সকলের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি মনে করি এ ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করা এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c9212dfe1, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা চান তৈমুর," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। আজ শুক্রবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘কাঞ্চনে সরকারদলীয় দুইপক্ষের লোকজন যেভাবে রামদা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তাতে এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি। জনমনে তো আতঙ্ক ঢুকে গেছে।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না৷ পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, অস্ত্র প্রদর্শন শুরু হয় আর প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যবস্থা না নেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন না। তিনি তাহলে কীভাবে আমাদের নিরাপত্তা দেবেন? তাহলে তো বিরোধী দল যে বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটাই প্রমাণিত হবে।’তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে নামানো হবে, আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু সেনাবাহিনীকে সাক্ষী-গোপাল করে রাখা যাবে না। যেখানে সন্ত্রাস সেখানে প্রতিরোধ করতে পারার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে হবে। জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করতে পারে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য।’তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা ছিলেন কেবল সাক্ষী-গোপাল। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেবল ডানে-বামে ঘুরছে, কারও কোনো অভিযোগ শোনেনি, ব্যবস্থাও নেয়নি। কারণ তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়াই হয়নি। আমাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা দেওয়া হোক। যাতে কোনো অপরাধ বা সন্ত্রাস সংঘটিত হলে, জোর করে সিল মারলে, ব্যালট ছিনতাই বা কোনো কারচুপি হলে আইনগত ব্যবস্থা সেনাবাহিনী নিতে পারে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c90eeb6a8, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বের কথা জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী কী কী দায়িত্ব পালন করবে, তা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।আজ বৃহস্পতিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।সশস্ত্র বাহিনী যেসব দায়িত্ব পালন করবে:*ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।*রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে।*সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/ মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।*রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।*সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।*উপকূলবর্তী এলাকায় নৌ-বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।*ঝুঁকির বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা কম/বেশি করা যাবে।*পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক/মহাসড়কসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।*বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীসমূহের অনুরোধে উড্ডয়ন সহায়তা প্রদান করবে।*সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।*বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8f8d1a64, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গানের উদ্বোধন আজ," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার)। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৫টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ে অবস্থিত বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির অফিস কক্ষে নির্বাচনী গানের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক। সূত্র- বাসস",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8e611d0c13, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে : সাঈদ খোকন," ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যায় তা প্রার্থীদের নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচনে বর্তমানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। আজকের মতবিনিময় সভায় এতে সবাই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে কিছু দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। আমাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নির্মমভাবে একটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কয়েকজন মারা গেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর ব্যবস্থা নেবে। আমরা যারা প্রার্থী আছি, তারা আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিশ্চিত করব, যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, আমাদের সবাইকে নির্বাচন সফল করতে সহযোগিতা করতে হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c311245523, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, আল্লাহ্র হুকুমেই ৫ মাস আগে নির্বাচন হচ্ছে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাঁচ মাস আগে হচ্ছে। এটি আল্লাহ্র হুকুমেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বৈধতা প্রশ্নে রিটের ওপর প্রথম দিনের শুনানি হয় গতকাল।হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ্র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য আজ দিন রাখেন আদালত।রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দকে আদালত কিছু প্রশ্ন করেন। যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় আদালত তাকে আরও প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেন।এ সময় আদালত বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটাও আল্লাহ্র হুকুমেই হচ্ছে।’ রিটকারীকে আদালত প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচনে সংক্ষুব্ধ হলেন?’ রিটকারী বলেন, ‘আমি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। আমরা শপথ নিয়েছি। জনস্বার্থে অনেক মামলা করে রায়ও পেয়েছি।’আদালত বলেন, ‘রিটে আপনি কি চেয়েছেন?’ আইনজীবী বলেন, ‘তফসিল স্থগিত চেয়েছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আরও পাঁচ মাস সময় রয়েছে। অথচ তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করতে চাচ্ছে কমিশন। অনেক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় নির্বাচন প্রি-ম্যাচিউরড।’শুনানির একপর্যায়ে সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদে দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কারণে সংসদের মেয়াদ শেষে নির্বাচন প্রসঙ্গ এলে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সবকিছু তো আল্লাহ্র হুকুমে হয়।’ তখন আদালত বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে যে নির্বাচন, সেটাও তো আল্লাহ্র হুকুমেই হচ্ছে।’আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এটা সাংবিধানিক বিষয়। সংবিধানের মধ্যে থেকে শুনানি করতে হবে। আপনি ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে আসুন। আগামীকাল (আজ) আবারও এ বিষয়ে শুনব।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c30be3a9714, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, আচরণবিধিও পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ নির্বাচন কমিশন," বাংলাদেশ সফরত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। ইইউ প্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগের ও পরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।গতকাল রবিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউর চার সদস্যের নির্বাচনী ‘এক্সপার্ট টিম’। বৈঠকের পর অশোক কুমার দেবনাথসাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইইউ এক্সপার্ট দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বসতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমিসহ আমাদের যুগ্ম সচিবরা তার সঙ্গে বসেছি। ইইউ প্রতিনিধিদল নির্বাচন পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সব বিষয়ে অবজার্ভ করবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, তা-ও দেখবে। তারা আমাদের নির্বাচন কমিশনের আইনগুলো জানতে চেয়েছেন।’অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘মূলত আইনগুলো বাংলায় হওয়ায় তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই আইনগুলো ইংরেজিতে কোথাও আছে কিনা, অথবা ইংরেজি করে আমরা দিতে পারব কিনা, তারা জানতে চেয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা ইংরেজি করা কিছু কপি সরবরাহ করেছি; বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে দিব।’ইইউ প্রতিনিধিদল সারাদেশে যাবে উল্লেখ করে অশোক কুমার বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনে কতজন প্রার্থী হয়েছে, কতগুলো দল অংশগ্রহণ করছে, দেশি-বিদেশি কয়টি পর্যবেক্ষক দল আসবে- এগুলো জানতে চেয়েছে। আলোচনা শেষে আমরা মনে করি, তারা আমাদের কথায় কনভিন্সড হয়েছে।’বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্য ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) ও রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট) উপস্থিত ছিলেন।এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের আচরণবিধিতে যা আছে, তাতে কোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে চাইলে আমাদের লোকাল রিটার্নিং অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c90be4f27, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা হবে: সিইসি," প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করা হবে। নির্বাচনের মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রিটার্নিং অফিসারদেরকে মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে।আজ শুক্রবার যশোর শেখ হাসিনা আইসিটি পার্ক অডিটোরিয়ামে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং রাজবাড়ী জেলার ডিসি-এসপি, ইউএনও-ওসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে শুধু নির্বাচনী কর্মকর্তারাই থাকবেন। সেখানে কোনো অনিয়ম কারচুপি দখলদারিত্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভোটাররা স্বাধীনভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে হামলার ঘটনা ঘটছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।খুলনা বিভাগের কমিশনার কার্যালয় ও যশোর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8ba7d3c5, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, আগামী নির্বাচনে লড়ছেন নওয়াজ শরিফ," আগামী নির্বাচনে লড়বেন পাকিস্তানেরসাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। দেশটির মানসেরার ১৫ নং আসন থেকে লড়বেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার নওয়াজ শরিফ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার জামাতা ক্যাপ্টেন (অব.) মুহাম্মদ সফদার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতার কাগজ জমা দেবেন তিনি।২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জিও নিউজ জানিয়েছে তারা নমিনেশন তালিকায় নওয়াজ শরীফের নাম দেখেছে। এর আগে ২০১৩ আর ২০১৮ সালে নির্বাচনে আসন জিতেছিলেন নওয়াজ।মানসেহরা হাজারা বিভাগের অংশ, যা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর শক্তিশালী ঘাঁটি বলে পরিচিত। নওয়াজ শরিফ মানসেহরা ছাড়াও লাহোর থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।২০১৯ সালে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান নওয়াজ শরীফ। এরপর আর পাকিস্তানে ফেরেননি তিনি। তবে ২০২২ সালে ইমরান খান আস্থাভোটে পদচ্যুত হলে নওয়াজের ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত করে অক্টোবরে ফিরে আসেন তিনি। এবার জানা গেল আগামী নির্বাচনে লড়াইও করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c865308a1, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার কাল," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে জাতীয় পার্টি। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘নির্বাচনী ইশতেহার’ ঘোষণা করবেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’এবারের নির্বাচনে ২৮৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তবে কিছু জ্যেষ্ঠ নেতাদের আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬টি আসনে সমঝোতা হয়েছে জাতীয় পার্টির। ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8f7a0d68, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার আরও ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে ছয়টি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।তিনি পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।ওই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী আসনগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জনসভা সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা, খাগড়াছড়ি জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8d9a5fd417, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচার পোস্টারে এগিয়ে নৌকা," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেশির ভাগ জায়গা নৌকা প্রতীকের পোস্টারের দখলে চলে গেছে। তবে পোস্টারে নৌকার প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন নগরী ও জেলার অলিগলি। তাদের সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সামনের সারির কিছু নেতা। তাদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনও রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এই মরিয়া প্রচার প্রচারণা রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকার প্রার্থীদের। ফলে সরাসরি হামলার পাশাপাশি লিখিত অভিযোগ থেকে মারামারিতে নেমেছেন নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে এখন পর্যন্ত ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন চাঙ্গাভাব নেই।গত দুদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া অস্থিতিশীল ছিল নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারিতে। এর বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সরগরম প্রচারে। এ অবস্থায় পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামছেন। আর আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করেন বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেল। এ ছাড়া গিয়াসের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধে টাকা বিতরণের অভিযোগও এনেছেন তিনি।অভিযোগ আমলে নিয়ে গতকাল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমান গিয়াস উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়, গিয়াস উদ্দিন ১৯ ডিসেম্বর ও ২০ ডিসেম্বর দুদিন গণসংযোগের নামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া গিয়াসের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভোটারদের প্রভাবিত করতে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ করেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ১০ (ক) ও ১১ (ঙ)-এর লঙ্ঘন করে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম জানান, গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে কমিটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।চট্টগ্রাম-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নাছির : চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে ওই কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, নিজের যোগ্যতা বলে যিনি জনগণের আস্থাভাজন হবেন, তাকেই ভোটাররা ভোট দেবেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী প্রমুখ। এ আসনটি আওয়ামী লীগ শরিক দল জাতীয় পার্টি সোলাইমান আলম শেঠকে ছেড়ে দিয়েছে। এখানে নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালামও একজন শক্তিশালী প্রার্থী।এর আগে আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের পক্ষে বড় সমাবেশ করেন।চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটিও আওয়ামী লীগ জোটের শরিক হিসেবে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ছেড়ে দিয়েছে। সেখান থেকে নৌকার প্রার্থী এমএ সালামকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এখানে প্রচার শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। তিনি ক্যাটলি মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম ও আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ জোর প্রচার চালাচ্ছেন। নগরীর ছয় আসনের মধ্যে এই আসনেই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা সবচেয়ে বেশি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8dc0c1c21, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, গাইবান্ধা উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে নির্বাচন কমিশনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ নির্বাচন কমিশারগণ জেলায় জেলায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থী ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময়সভা করছেন। গতকাল হবিগঞ্জ, গাইবান্ধা ও খুলনায় মতবিনিময় করেছেন তিন নির্বাচন কমিশনার। তারা নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলতে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাইবান্ধা উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন।হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময়সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, দায়িত্ব পালনে গাইবান্ধা উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কয়েকটি দিনের জন্য সব প্রকার পক্ষপাতিত্ব ভুলে যেতে হবে। নির্বাচনের দিনেই সব কিছু শেষ হয়ে যাবে না। কর্মকর্তারা তাদের ব্যর্থতার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে এবং শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে দায়িত্ব অবহেলার জন্য একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত পদাবনতি করা হয়েছে। তিনি উপস্থিত কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেন্দ্রে যা ভোট পড়বে তা দিয়েই নির্বাচনী ফল ঘোষণা করা হবে। জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ এতে সভাপতিত্ব করেন।নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, প্রার্থী দ্বারা আচরণবিধি ভঙ্গ হলে অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে জরিমানাসহ হতে পারে প্রার্থিতা বাতিল। প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন হায়দার, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময়সভায় করেন। তিনি বলেন, আমার আশা ও প্রত্যাশা এই যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c35d5fc069, আমাদের সময়,০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সামাজিক জাগরণও জরুরি," নির্বাচনের জাহাজ ঘাটে এসে ভিড়েছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাতে সওয়ার হয়নি। ২০১৪-র মতো এবারও বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনী তরী ছেড়ে দেবে বলে মনে হচ্ছে। সময় থাকতেই বিএনপির অনুকূলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তৎপরতা চালিয়েছিল। বলা যায়, এতে সরকার ও ইসির ওপর সুষ্ঠু নির্বাচনের চাপও তৈরি হয়েছিল। দেশের ভেতরে আগে থেকেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট নেতিবাচক কথাবার্তা ও ধারণা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে ২০০৯-এর পরে বিএনপির জন্য এবার ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এর কারণ মাঠের বাইরে দেশি-বিদেশি অরাজনৈতিক শক্তির পক্ষে এর বেশি কিছু করা তো সম্ভব নয়। তাদের তৎপরতায় সৃষ্ট চাপ কাজে লাগাতে হবে মাঠের খেলোয়াড়কে অর্থাৎ বিএনপিকে। কিন্তু বিএনপি প্রতিরোধ-প্রত্যাখ্যানের পথেই থেকে গেল। তাদের রাজনীতির হিসাবটা স্পষ্টভাবে বোঝা গেল না।এদিকে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারের কোনো কোনো মহল বিএনপিকে নির্বাচনে চায়নি। সে কারণেই সম্ভবত বিএনপি নেতাদের এত ধরপাকড় ও পুরনো মামলায় দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে।আবার বিএনপিও সম্ভবত তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না। হয়তো তারেক রহমান নিজেই এ বাধা তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু বিএনপিও আদতে আওয়ামী লীগের মতোই নির্বাচনমুখী দল। সরকার যদি জেলজুলুমের চাপ না বাড়িয়ে আপস-সমঝোতার পথে থাকত, আমার ধারণা তাতে মূল দল না এলেও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের আরও নেতাকর্মী নির্বাচনে শামিল হতেন। তাতে তৃণমূল বিএনপি বা অন্যান্য বিএনপি ঘরানার নতুন দলগুলো বা এর মধ্যে কোনো কোনোটি রাজনৈতিক দলের রূপ পেতে পারত। সেটা দেশের ও গণতন্ত্রের জন্য ভালো হতো। বলা যায়, উভয়পক্ষই একে অপরকে ছাড় না দেওয়ার পথ ধরেই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে কঠিন জায়গায় ঠেলে দিল।আন্তর্জাতিক নানা চাপ থাকলেও এখন বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে। বিএনপির একদফার আন্দোলন- বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন- এখনকার বাস্তবতায় কি আদায় করা সম্ভব? আমরা যদি আইয়ুব ও এরশাদ সরকারের পতনের পটভূমির কথা ভাবি তা হলে সহজেই বলা যাবে যে, শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ বর্তমান ধারার আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। বর্তমানে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা নব্বইয়ের গণআন্দোলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তখন একদিকে সরকারি দল ছাড়া মাঠ পর্যায়ের সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সমাজ আন্দোলনে একাট্টা হয়ে শরিক হয়েছিল। অন্যদিকে ছদ্ম সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ওপর থেকে সামরিক বাহিনী ও আমলাতন্ত্রসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমর্থন প্রত্যাহার করায় পদত্যাগ ছাড়া তাদের জন্য আর কোনো বিকল্প ছিল না। একদিকে সার্বিক ঐক্য ও অন্যদিকে সার্বিক সমর্থন প্রত্যাহার সরকারের জন্য টিকে থাকার সুযোগ রাখেনি। বিএনপির আন্দোলনে কিছু ইসলামি ডানপন্থি ও কিছু বিচ্ছিন্ন বামপন্থি দলের এবং বিচ্ছিন্নভাবে নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের কিছু সমর্থন রয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের পক্ষে কিছু ইসলামি ডানপন্থি দল, কিছু বিচ্ছিন্ন বামপন্থি দল, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের কিছু অংশের সমর্থন রয়েছে।বিএনপির তুলনায় শেষোক্তদের সংখ্যা সরকারের পক্ষেই বেশি বলে মনে হয়। আজকের যুগের শক্তিশালী বৈদ্যুতিক এবং ঐতিহ্যবাহী মুদ্রণমাধ্যমও বিপুলভাবে সরকারের পক্ষে রয়েছে। তদুপরি সামরিক বাহিনী, পুলিশ, আমলাতন্ত্রসহ সব অঙ্গের সমর্থনও রয়েছে সরকারের পক্ষে। ক্ষমতার এ ধরনের ঐক্য এবং বিপরীতে তুলনামূলকভাবে দুর্বল বিরোধী পক্ষ মিলে অতি ক্ষমতাধর কর্তৃত্ববাদী সরকার তৈরি করে। এটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সেদিক থেকে দুই বড় দলেরই আরও দায়িত্বশীল দূরদর্শী ভূমিকা পালন জরুরি।এমন একটি অবস্থায়ও বিএনপি যে তাদের আন্দোলনের পক্ষে বেশ কিছুটা জনসমর্থন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল তাতে বোঝা যায় বেশ কিছু মানুষ তাদের ক্ষোভ, উদ্বেগের প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন। ফলে দেশি-বিদেশি সমর্থনে তারা প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের পক্ষে যে অবস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছিল তার প্রভাব কম নয়। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই চাপের মধ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার তাগিদ থাকত এবং এখনো রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপি ও তার মিত্রদের পক্ষে একদিকে সংসদে জোরালো আওয়াজ তোলার মতো সদস্য পাওয়া সম্ভব হতো, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হতো। আগের মতো সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ বা ব্রুট মেজরিটি পাওয়া সম্ভব হতো না।এবারই সরকারের পরিবর্তন হতো বলে মনে হয় না, তবে একটা কার্যকর সংসদ পাওয়া যেত বলে মনে হয়। সংসদে ভালোভাবে থেকে ভেতরে-বাইরে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে সংসদে দায়িত্বশীল কার্যকর ভূমিকা পালন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পোক্ত করায় অবদান রাখতে পারত। এই অবদান পরবর্তী নির্বাচনে তাদের বাড়তি সুবিধা দিত।তবে এ কথাও আগাম বলা যায় যে, বিরোধী দল মাঠে শক্তি সঞ্চয় করলে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ, এ যুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধী ইস্যু ইত্যাদির ব্যবহার বাড়িয়ে বিএনপির জন্য অস্বস্তিকর বাস্তবতা তৈরি করত। যদিও তাদের আমলে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন বা একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি হলেও বলতে হবে যে, এ আমলে সমাজে ও রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিকে হয়ে এসেছে। দেশে ধর্মান্ধতা, রক্ষণশীলতা ও সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। বিপরীতে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিচেতনার বিকাশ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে, এমনকি তা কঠিন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর মতো রাজনীতি করছে বা করবে তা মনে হয় না।দেখা যাচ্ছে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিপরীত রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেরাই ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবানুগ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বরং বিএনপিই অভিযুক্ত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি হিসেবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং বেতারে স্বাধীনতার একজন ঘোষক হয়েও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির ভ্রান্তি ও ট্র্যাজেডি। তিনি ও পরবর্তীকালে খালেদা জিয়া জামায়াত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি ও সরকার গঠন করেছেন। দলে আওয়ামী লীগবিরোধী বাম প্রগতি চেতনার কিছু মানুষ যুক্ত হলেও বর্তমান নেতা (বিদেশ থেকে) তারেক রহমান দলীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী একই রাজনৈতিক ধারাই অনুসরণ করছেন।বাংলাদেশের জন্য আজ জরুরি হলো গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে প্রগতিচেতনার রাজনীতি ও সমাজভাবনা গড়ে উঠেছিল সেই বাতাবরণ ফিরিয়ে আনা। আজ প্রয়োজন রাজনীতি ও সমাজে উদার মানবিক ধারাকে বেগবান করে তোলা। নয়তো এ সমাজে সত্যিকারের জ্ঞানচর্চা, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ বা আলোকিত সমাজ গঠন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, দিন দিন আওয়ামী লীগসহ সব ধারার রাজনীতিই পশ্চাৎমুখী হয়ে পড়েছে। সমাজ ও রাজনীতিতে রক্ষণশীলতা, অনুদার চিন্তা, অসহিষ্ণুতা, উগ্রতা ও উগ্রবাদ বেড়েছে এবং ব্যক্তিগত লোভ ও স্বার্থ হাসিলের প্রবণতা অপ্রতিহত হয়ে পড়েছে। রাজনীতি বা সমাজ তাতেই গা ভাসিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচন বা সরকার বদল হলে গুণগত কোনো পরিবর্তনের আশা করা বৃথা।সমাজ ও রাজনীতি কতটা ক্ষমতার সংকীর্ণ গ-িতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে তা বোঝা যায় গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা, প্রায় ষোলো হাজার বেসামরিক নাগরিকের হত্যাকা-, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু, প্রায় পনেরো লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা, পঞ্চাশ হাজার নারীর বিনা স্বাস্থ্যসেবায় সন্তান প্রসবে বাধ্য হওয়া, মাসাধিককাল ধরে প্রায় বিশ লাখ মানুষ পানি, বিদ্যুৎ বা নেটওয়ার্ক ছাড়া থাকল এবং যখন ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের শহরে শহরে যুদ্ধবিরোধী বিশাল সব সমাবেশ হচ্ছে তখন বাংলাদেশে সে রকম কোনো সমাবেশ দেখা যায়নি। কেবল শুক্রবার জুমার পরে কিছু ইসলামি দল রুটিন কাজের মতো সাম্প্রদায়িক চেতনার সমাবেশ করেছে। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ না হতেই ইসরায়েল আবার বর্বর হামলা শুরু করেছে এবং প্রতিদিনই শত শত বেসামরিক নাগরিক হত্যা করছে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন সংঘবদ্ধ প্রকাশ্য প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। অথচ এখনই বহু বছরের প্যালেস্টাইন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পক্ষে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জোরালো বক্তব্য উঠে আসছে। তাতে পশ্চিমের সরকারগুলোরও সাড়া মিলছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্র থেকেও শোনা যাচ্ছে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা। এ সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকেও ন্যায্য মানবিক দাবিতে আওয়াজ ওঠাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয়নি। এ আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব ও সমাজের বন্ধ্যত্বেরই প্রমাণ দেয়। তবে বলতে হবে, এই অসাড়তার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে এ প্রসঙ্গে শক্তিশালী বক্তব্য দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা হননি। কিন্তু প্রয়োজন ছিল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দেশের জনমতের শক্তিশালী প্রতিফলন। আমাদের জনগণ যে গাজা ইস্যুতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং তারা প্রতিক্রিয়া জানাতেও আগ্রহী সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল বা অন্যরা যেন উদাসীন, অসচেতন।বলা যায়, সামগ্রিকভাবে সমাজের মূল্যবোধ ও চেতনার মান দুর্বল, এ সমাজ আপসকামী ও ব্যক্তিস্বার্থে আবদ্ধ। সামাজিক-সাংস্কৃতিক জাগরণ ও আন্দোলন ছাড়া এ সমাজের অবক্ষয় এবং পরাভব ঠেকানো যাবে না। কাজটা কেবল রাজনীতির নয়, সমাধান কেবল নির্বাচনে নেই। এ এক সর্বব্যাপী সংকট এবং তার প্রতিকারও হতে হবে সব অঙ্গনে সংস্কার ও জাগরণমূলক কাজের মাধ্যমে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া দরকার, তবে সমাজকে ব্যাধিমুক্ত করা ও জাগিয়ে তোলার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8e6118d09, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, মাস্তানমুক্ত ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচন হতে হবে হইনু," ১৪ দলের প্রার্থী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসুক, কিন্তু যেটুকু ভোট হচ্ছে, সেটুকু মাস্তানমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও কারচুপিমুক্ত হতে হবে।গতকাল বিকালে ভেড়ামারায় কোচস্ট্যান্ডে নৌকা প্রতীকের পথসভায় ইনু এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। এ দেশের উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। নৌকা প্রতীক জিতলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন এবং দেশকে বাঁচাতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।এই নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- কোনো ভোটডাকাতি হবে না। এখানে কোনো মাস্তানি হবে না এবং ভোটের কেন্দ্রে কোনো কারচুপি হবে না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8c56a873, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে যে ৯ দেশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত-চীন-রাশিয়াসহ এ পর্যন্ত নয়টি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান এ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা দেশগুলোর মধ্যে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার পর্যবেক্ষক রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক্সপার্ট টিম এবং ওআইসি, কমনওয়েলথ ও আরব পার্লামেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।’পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নয়টি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশগুলো হলো- ভারত, চীন, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, উজবেকিস্তান, মরিশাস, জর্জিয়া এবং ফিলিস্তিন।’তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা এক্সপার্ট মিশন বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। নির্বাচন কমিশন বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে অ্যাক্রিডিটেশনের (অনুমতি) জন্য প্রাপ্ত আবেদন পর্যালোচনা করছে। তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশে আসবেন তা কমিশন কর্তৃক চূড়ান্ত হলে জানা যাবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8c16c5ef, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ-মারামারি দেখতে চাই না: শেখ হাসিনা," আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ-মারামারি দেখতে চাই না। দলের কেউ সংঘাত করলে তার রেহাই নেই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়েই সংগ্রাম করেছি। অনেক সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে। তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল ৭৫-এর পরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।’ বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করেছে। সেইসময় ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান। এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচ বার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছিল।’তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমরা নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি। বরং এগিয়ে গিয়েছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য করে নেতাকর্মীরা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে, বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে।’ ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8dc233625, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে লড়ছেন নওয়াজ শরিফ," পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের সর্বোচ্চ নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশটি আসন্ন নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার মেয়ে ও দলটির শীর্ষ নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে লড়বেন বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অন্যদিকে পিটিআই নেতা কারাবন্দি ইমরান খান তিন আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে আইনি বাধা পুরোপুরি কাটেনি। খবর ডন ও জিও নিউজ।নওয়াজ শরিফ দেশত্যাগের পর অনেকে ধারণা করেছিলেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে নওয়াজের দৌড় হয়তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু দেশে ফেরার পর এবং নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর স্পষ্ট হলোÑ রাজনীতির ময়দানে ফের দাপট দেখাবেন তিনি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8da12e357, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পে হাত দিতে চায় চীন," প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর গভীরতা বাড়বে ১০ মিটার। নদীশাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো, নদীর দুই পাড়ে বিদ্যমান বাঁধ মেরামত করা, দুই পাড়েমোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা ইত্যাদি। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও নানা জটিলতায় সেটি থমকে যায়।রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীবিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। এসব প্রকল্পের খরচ অনেক বেশি। বিপুল পরিমাণ খরচের চাপ কমানোর জন্য আমরা এটি ধাপে ধাপে করতে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। আমি আশাবাদী, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পে আমরা কাজ শুরু করতে পারব।’লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের পরিসর আরও বাড়বে।সেমিনারে ‘বাংলাদেশে চীনের ভাবমূর্তি’বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর অলটারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ। গবেষণাপত্রে দেখা যায়, বড় একটি জনগোষ্ঠী ‘চীনের ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তারা আশাবাদী।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c82c4c6c1, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি’," নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। তাই বলছি, নির্বাচনে কোনো হট্টগোল বা জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। যেখানেই গণ্ডগোল হবে, সেই কেন্দ্রেরই ভোট বন্ধ হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এমন নির্দেশ দেওয়া আছে। ভোট গ্রহণের সাথে জড়িত কেউ কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার সংসদীয় আসনের প্রার্থীরাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সভা করেন আহসান হাবিব খান।নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে তাদের পায়ে ধরা বাকি রেখে সব চেষ্টা করেছি। এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছে অনেক বিএনপি নেতার সাথে। আমি তাদের হাত ধরে অনেক অনুরোধ করেছি নির্বাচনে আসার জন্য। কিন্তু তারা তো আমাদেরই স্বীকার করে না। তাহলে আমাদের অধীনে নির্বাচনে আসবে কেন?’এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘নির্বাচনকালে সরকার অর্থনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে চাপে আছে কি না, সেটা সরকার জানে। তবে আমরা কোনো চাপে নেই। তারা কখনো আপত্তি বা অভিযোগ প্রকাশ করেননি।’মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এ ছাড়া দুই জেলার ১৩টি আসনের প্রার্থীরা ও সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8c4539af, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘গাইবান্ধার উপনির্বাচন’ থেকে শিক্ষা নিতে বললেন ইসি আনিছুর," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে দায়িত্ব অবহেলার জন্য একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত পদাবনতি করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে গাইবান্ধার উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কয়েকটি দিনের জন্য সকল প্রকার পক্ষপাতিত্ব ভুলে যেতে হবে। নির্বাচনের দিনেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না। কর্মকর্তারা তাদের ব্যর্থতার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, শাস্তি ভোগ করতে হবে।’আজ বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।উপস্থিত কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের উদ্দেশে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রে যা ভোট পড়বে তা দিয়েই নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কেউ যাতে জাল কিংবা অবৈধ ভোট দিতে না পারে সেজন্য ব্যালট পেপারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যলট পেপারের পিছনে সিলের পাশাপাশি সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর থাকবে। ভোট কেন্দ্রের সকল দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের। কোনো অনিয়ম ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রয়োজনে সকল কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’জেলা প্রশাসক দেবী চন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা বক্তব্য দেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c8c7b9755, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনের পর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক কেমন হবে, জানালেন রাষ্ট্রদূত"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে দাবি করলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল ইমেজ অব চায়না ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ-চীন শক্তিশালী সম্পর্ক বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন শান্তিতে ভূমিকা রাখবে। দুই প্রতিবেশী দেশের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধন দীর্ঘ ও চিরকাল অটুট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার একাধিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে নজরকাড়া।’ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে বাংলাদেশের পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে চীন। বাংলাদেশ যদি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়, তাহলে চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়। এ ছাড়া দুই জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। চীন ও বাংলাদেশ অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু।’তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হাত ধরে বিআরআইয়ের যাত্রার দশম বার্ষিকী উদ্‌যাপিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম বিআরআইতে যোগ দেয়। গত সাত বছরে বিআরআই বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে। মেগাপ্রকল্পগুলো একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে এবং অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অনন্য, যা এশিয়ার অন্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ। চীন বাংলাদেশের এ অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে চায়। মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও ভিসা জটিলতা দূরীকরণসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীন সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া বেশকিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। এ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত জ্বালানি ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলে চীনা উদ্যোক্তারা সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’সেমিনারে কী-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের ডিরেক্টর ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এস কে তৌফিক এম হক এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহাব ইনাম খান। এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c825899c1, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী পোস্টার যেমন হতে হবে," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে প্রচারণা। প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী পোস্টার সাঁটাচ্ছেন তাদের সংসদীয় এলাকায়। নির্বাচনী পোস্টারে প্রতীক ও ছবি ব্যবহার কেমন হবে, এক পরিপত্র জারি করেছে তা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা শাখা) আতিয়ার রহমান সই করা পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক, দলীয় প্রধান ও নিজের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শুধু নিজের ছবি ও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন।একই সঙ্গে নির্বাচনী প্রতীক, পোস্টার ও পোর্ট্রেটের (ব্যক্তির প্রতিকৃতি) সাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসি। পরিপত্রে বলা হয়, প্রার্থীদের প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের বেশি হবে না। নির্বাচনী পোস্টার সাদা-কালো রঙের হবে। আয়তন হতে হবে অনধিক ৬০ সেন্টিমিটার × ৪৫ সেন্টিমিটার। কাপড় ব্যানার ছাড়া প্লাস্টিকের ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক তিন মিটার × এক মিটার হতে হবে।উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এতে ১ হাজার ৫১২ জন দলীয় প্রার্থী ও ৩৮২ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7deee31610, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করছে নির্বাচন কমিশন," নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা, কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এত ইউএনও ও ওসিকে কোনো নির্বাচন কমিশন বদলি করেনি। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। এমন নির্বাচন কমিশন আগে দেখিনি। তাই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়কসরকারের ভূমিকা পালন করছে।এক প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন, আমাকে অনেকে আওয়ামী লীগের এজেন্ট বলছেন। যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করে নির্বাচন করতাম, তা হলে আমার বিরুদ্ধে থাকা ৬২টি মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নির্বাচনে আসতাম। এসব মিথ্যা প্রপাগান্ডা। তৃণমূলে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। ভালো ভোট হলে আমিই জিতব।এ সময় শওকত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, কুমিল্লা-৫ আসনে কালো টাকার ছড়াছড়ির খবর পেয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়টিতে নজর দেওয়ার অনুরোধ করব।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7e2202791, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি বিএনপির এজেন্ডা," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ বুদ্ধিজীবী যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতে বোঝা যায়, তারা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২৭টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৩৫৭ জন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।’সম্প্রতি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কারাগার থেকে তাদের সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।’আব্দুর রাজ্জাকের এ বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো দেউলিয়া দল নয়, আওয়ামী লীগ দলীয় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে না। গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের যে কমিটমেন্ট, সেটা বিনষ্ট করে এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপি বা কাউকে দেবে- এটা কখনো সঠিক হতে পারে না। এ ধরনের প্রস্তাব সরকার এবং দল দেয়নি।’বিএনপি নেতা মঈন খানের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশের দিকে একটু নজর দিয়েন, ভোটকেন্দ্রের দিকে একটু তাকাবেন তা হলে বুঝতে পাররেন সারাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য কতটা উন্মুখ হয়ে আছে।’সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7e2207058, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই কিংস পার্টি," নির্বাচনের মাঠে এখন আর আলোচনায় নেই কিংস পার্টিখ্যাত তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম)। বিএনপির নেতৃত্বে চলমান যুগপৎ আন্দোলন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিরও একই হাল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন গত রবিবারের পর থেকে নির্বাচনী মাঠের এ চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম উভয়ই বিরোধী দলের আসনে বসবে বলে মনে করেন দল দুটির নেতারা। যদিও এখনো সরকারের কৃপা প্রত্যাশ করছে বিরোধী দলের আসনে বসতে চাওয়াএ দল দুটি। উভয় দলের নেতারা বলেন, আসন সমঝোতা ছাড়া কোনো আসনেই তাদের পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভব হবে না। তৃণমূল বিএনপির দুই প্রার্থী বলেন, যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই এখন পূরণ করতে পারছে না দল।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ২৬টি আসনে সমঝোতা হয়েছে। এর আগে ১৪ দলের তিন শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জাসদ তিনটি ও জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে একটি আসনে সমঝোতা হয়। কিন্তু কিংস পার্টিখ্যাত তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) সঙ্গে কোনো আসন সমঝোতা হয়নি। এ দল তিনটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত।আগে থেকে সরকারবিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল, সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকলেও সরকারের নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশন তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমকে নিবন্ধন দিয়েছে। বিএনপির কিছু নেতাকে এ দুই দলে যোগদানেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। মূলত এ কারণে দল দুটি বেশ আলোচনায় এসেছিল।তফসিল ঘোষণার পর তৃণমূল বিএনপি প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসবে বলে দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া উইংয়ের প্রধান আবদুস সালাম মাহমুদ আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের লক্ষ এমনই ছিল। কিন্তু আমাদের আর্থিক সংকট রয়েছে। তবে যেভাবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করেছে, আমরা সেটি করব না। আমাদের ১৪২ আসনে প্রার্থী আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন বলে জানান তৈমূর আলম।বিএনএমের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে তাদের ৫৭ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছে। যদিও প্রার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা জানা নেই বলে জানান বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আমরা কোনো আসন সমঝোতায় বিশ^াস করি না। আমরা শুধু সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়েছি। আমাদের প্রার্থীরা সবাই যোগ্য। আশা করি, বিরোধী দলের আসনে এবার বিএনএম বসবে।তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, তাদের প্রত্যাশা ছিল- অন্তত উভয় দলের ছয় সিনিয়র নেতার নির্বাচনী এলাকায় আসন সমাঝোতা করবে আওয়ামী লীগ। সেটা না হওয়ায় তারা হতাশ। যার প্রভাব কর্মীদের মধ্যেও পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। সরকারের ‘আনুকূল্য’ না পেলে সেখানে কিংস পার্টির পক্ষে নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাও সম্ভব হবে না। এমনকি সব ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেওয়াই কঠিন হবে।কল্যাণ পার্টিও এখন পর্যন্ত কোনো আসনে নিশ্চয়তা পায়নি। দলটির চেয়ারম্যান মেজর (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক আমাদের সময়কে বলেন, ভোটার হচ্ছে ওছিলা, ফল দেবেন আল্লাহ। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সমর্থন চাই।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c81402a22, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন পুতিন," ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যে তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের প্রার্থিতা সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আরও ছয় বছরের মেয়াদের জন্য তিনি জয়ী হতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কোভ বলেন, পুতিন নিজেই নথি জমা দিয়েছেন। তার সমর্থকরা তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।রাশিয়ান আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অন্তত ৫০০ জন সমর্থক থাকতে হবে। এ ছাড়া ৪০টি অঞ্চল থেকে তাকে সমর্থন করে ৩ লাখেরও বেশি স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি, রুশ অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী, ক্রীড়াবিদসহ অন্যান্য তারকারা।এর আগে ২০১৮ সালে তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। ২০১২ সালে ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির হয়ে লড়েছিলেন।চলতি মাসের শুরুর দিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চমবার ক্ষমতা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন পুতিন।৭১ বছর বয়সি পুতিনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং প্রায় প্রধান কোনও বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষবিহীন নির্বাচনে তার জয়ী হওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই। এর আগে সংবিধান সংস্কার করে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করেছেন পুতিন। সর্বশেষ সংস্কার অনুযায়ী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে তার।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c81e1021c, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালের ‘অপচেষ্টারোধে’ ৯১ নাগরিকের আহ্বান," আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টারোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ৯১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলছেন, গত ১২ ডিসেম্বর গাজীপুরের রেল লাইনের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলা ও আজ ১৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা বিমানবন্দর ও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে সন্ত্রাসীচক্রের অগ্নিসংযোগের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিরোধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আক্তার স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধান অনুযায়ী ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু একটি মহল নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে গণসমাবেশের নামে বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে একজন কর্তব্যরত নিষ্ঠাবান পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও হাসপাতালে তারা তাণ্ডব চালায়। পরবর্তী সময়ে বাসের ভেতরে ঘুমন্ত শ্রমিককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।গত ২৯ অক্টোবর থেকে অদ্যাবধি বিএনপি-জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিপুল সংখ্যক যানবাহন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজিরবিহীন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি খাদ্যপণ্য বহনকারী যানবাহন, কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক ও পিকআপও তাদের এ তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি। গত ১২ ডিসেম্বর বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা গাজীপুরের রেল লাইনের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়, একজন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়াসহ অসংখ্য ট্রেনযাত্রী আহত হয়। সর্বশেষ আজ ১৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা বিমানবন্দর ও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে সন্ত্রাসীচক্র অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় চারজন নিরীহ যাত্রী নির্মমভাবে নিহত হয়। রাজনীতির নামে পরিচালিত দুর্বৃত্তদের এ ধরনের নৃশংস বর্বরতা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিরোধ করে দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা। একই লক্ষ্যে দেশের একটি চিহ্নিত মহল সংবিধানের একটি নির্ধারিত ধারার অপব্যাখ্যা দিয়ে নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তন করে সাংবিধানিক অচলাবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত।ইতোমধ্যে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। চূড়ান্তভাবে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের সংখ্যা ১৮৯৬ জন। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উৎসমুখর পরিবেশ।বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সকল বিভ্রান্তি ও বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নয়নের ধারা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রীমহল দেশের জনগণ ও নির্বাচনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। রাজনীতির আড়ালে সক্রিয় উন্নয়ন ও প্রগতিবিরোধী এ অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের সচেতন নাগরিকদের সোচ্চার হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশের সব নাগরিককে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সফলভাবে সম্পন্ন করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যারা১. সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী২. সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম৩. অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)৪. অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন৫. শিল্পী হাশেম খান, প্রফেসর এমিরিটাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৬. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন৭. কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৮. এমিরেটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান, সাবেক গর্ভনর, বাংলাদেশ ব্যাংক৯. মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি, সচিব ও কলামিস্ট১০. মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত১১. ড. ইকবাল মাহমুদ, সাবেক চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন। ১২. মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান, বেসরকারিকরণ কমিশন ১৩. ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মুখ্য সচিব ও কবি১৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী পিপিএম, সাবেক চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন১৫. সোহরাব হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত১৬. মো. নজিবুর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ১৭. কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব১৮. অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়১৯. নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ২০. অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়২১. ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত২২. শাহরিয়ার কবির, লেখক ও গবেষক২৩. অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়২৪. মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, বীর প্রতীক, সাবেক সচিব২৫. লে. জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এনডিসি, পিএসসি (অব.)২৬. লে. জেনারেল আবদুল ওয়াদুদ, এনডিইউ, পিএসসি (অব.)২৭. লে. জেনারেল সাব্বির আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি (অব.) ২৮. এয়ার ভাইস মার্শাল সাদে উদ্দিন (অব.)২৯. উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সাবেক সচিব ও সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন৩০. মো. আবদুল হান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৩১. সুরাইয়া বেগম, সাবেক সিনিয়র সচিব ও সদস্য, তথ্য কমিশন৩২. একেএম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি৩৩. ড. বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি ৩৪. অধ্যাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৩৫. অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি৩৬. অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়৩৭. অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়৩৮. অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়৩৯. অধ্যাপক নিসার হোসেন, ডীন, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৪০. মেজর জেনারেল আলাউদ্দিন মুহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, বিপি, এনডিসি, পিএসসি (অব.)৪১. মেজর জেনারেল শিকদার মো. সাহাবুদ্দিন (অব.)৪২. মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশিদ, পিএসসি, জি (অব.)৪৩. মেজর জেনারেল নাসির উদ্দিন (অব.), এমপি৪৪. মেজর জেনারেল মো. সালাহউদ্দিন মিয়াজী, পিএসসি (অব.)৪৫. মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদ-উল-ইসলাম, বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি (অব.)৪৬. রিয়ার এডমিরাল এ কে এম আজাদ (অব.)৪৭. শ্যামল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ।৪৮. ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব।৪৯. অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব৫০. অশোক কুমার বিশ্বাস, সাবেক সচিব৫১. মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ৫২. অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব ৫৩. এ কে এম আতিকুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত৫৪. গোলাম মোহাম্মদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৫৫. মোহাম্মদ শহীদুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব ৫৬. চৌধুরী ইখতিয়ার মমিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত৫৭. মাহবুব উজ জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত৫৮. এটিএম নজরুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৫৯. মসয়ূদ মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত৬০. এম এ কাদের সরকার, সাবেক সচিব৬১. নাসিমা বেগম, এনডিসি, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৬২. জেসমিন আরা বেগম, সাবেক সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৬৩. মো. শহীদুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৬৪. ড. সেলিনা আফরোজ, সাবেক সচিব ৬৫. পবন চৌধুরী, সাবেক সচিব ৬৬. ড. খন্দকার শওকত হোসাইন, সাবেক সচিব৬৭. অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, সাবেক সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ৬৮. একেএম শামীম চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ৬৯. মিজানুর রহমান, সাবেক সচিব ৭০. ড. রফিকুল ইসলাম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ৭১. মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ৭২. মো. আবুল কাশেম হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ৭৩. এম সানাউল হক, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি৭৪. অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৭৫. ড. সুরাইয়া আক্তার, অধ্যাপক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৭৬. অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী৭৭. অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী৭৮. মো. আলী ইমাম চৌধুরী, বিপিএম, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৭৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিউর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি৮০. মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি৮১. মালিক খসরু, সাবেক এআইজি৮২. সাবেক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান ৮৩. সাবেক সচিব আফরোজা খানম৮৪. সাবেক সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী৮৫. রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ নুরুল হুদা৮৬. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. রকিবুর রহমান৮৭. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ খান (অব.)৮৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিস জামান৮৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সিরাজুল ইসলাম শিকদার৯০. কমোডর (অব.) এ ডব্লিউ চৌধুরী৯১. ড. মাসুদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c82278480, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, কাল নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। এরপরই প্রচারণায় নেমেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। তবে আগামীকাল বুধবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামীকাল সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত ও জেলাটিতে আয়োজিত জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা।কাল সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করতে যাবেন। মাজার জিয়ারতের পর বিকেলে সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা। বেলা ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ির জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বক্তব্য দেবেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে তিনি যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে যাবেন। ওই দিন প্রথমে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।এরপর মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি এবারও এ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c81964597, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, প্রার্থীরা আন্তরিক না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি," প্রার্থীরা যদি নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে না চলেন তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে রংপুরের ছয়টি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৬ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রশাসন নির্বাচনে নিরপেক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করবে বলে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর যারা প্রার্থী বা ইনডিপেন্ডেন্ট (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আছেন, তারা যদি আন্তরিক না হন, তারা যদি সচেতন না হন এবং তাদের প্রতি যদি পারস্পরিক আস্থা সংরক্ষণ না করেন, সঠিক আচরণ না করেন তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়াটা দুরূহ হয়ে পড়বে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের এই বার্তাটা দেওয়া হয়েছে।’সিইসি আরও বলেন, ‘প্রার্থীরা আমাদের কথা দিয়েছেন তারা পারস্পরিক বিশ্বাস-আস্থা রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবেন। প্রার্থীরাও আশাবাদী, এবারের নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ সময় ভোটের মাঠে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায়, আচরণবিধি মেনে চলা, নিয়ম মেনে প্রচার-প্রচারণা করাসহ ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।’এর আগে আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ মতবিনিময় সভা। পরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যদের বৈঠকে বসেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7ee3f04c9, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নন-ক্যাডার থেকে ২২৯ সহকারী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ," ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারের তালিকা থেকে ২২৯ জন সহকারী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য জা জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারদের মধ্য থেকে ২২৯ জনকে সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে এবং একজনকে সুপারিনটেনডেন্ট পদে নিয়োগ দিয়ে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইসি সচিব বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে হবে বলেও জানান তিনি।বাংলাদেশ থেকেআম-পাট পণ্যনিতে আগ্রহী চীননিজস্ব প্রতিবেদক ষবাংলাদেশে উৎপাদিত আম এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের অন্যতম রপ্তানি বাজার হতে পারে চীন। তবে সেজন্য দেশে গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস, পণ্য উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের আম ও পাটের ভূয়সী প্রশংসা করে এ সম্ভাবনার কথা জানান।এ বিষয়ে সকল সদস্য অ্যাসোসিয়েশন এবং অংশীজনদের নিয়ে চীনের সঙ্গে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, চীন আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। তবে চীনের সঙ্গে বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনকে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীন সফরের ক্ষেত্রে ভিসা জটিলতা দূরীকরণে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ ছাড়া দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে চীনের মেধা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও ভিসা জটিলতা দূরীকরণসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত জ্বালানি ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলে চীনা উদ্যোক্তারা সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।এ সময় এফবিসিসিআইর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7e2209132, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় জাতি," আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন, গণতন্ত্র ও ভোটের পক্ষে। কোনো চক্রান্তকারী যেন নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা যত ভোটের বিপক্ষে থাকবে, আমরা ততটাই ভোট বিপ্লব ঘটাব। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। গতকাল কুষ্টিয়া-৩ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারকালে তিনি এ কথা বলেন।হানিফ বলেন, একটি আধুনিক, প্রগতিশীল, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতা আনতে হবে। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c30b603f86, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী তথ্য প্রচারের সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের’," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চত নয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, তথ্য প্রচারের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। আর যেসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত, তা প্রচারে ইসির অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, সেটা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত নয়।গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারসংক্রান্ত যেসব সংবাদ পাঠানো হচ্ছে, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিত হয়ে দিচ্ছে, নাকি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে? এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা?’ জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে তথ্য শেয়ার করার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে, আমাদের একটা বড় অডিয়েন্স আছে; তাদের দ্রুত রিচ আউট করা; এর বাইরে কিছু নয়।’রোহিঙ্গা ইস্যুতে রফিকুল আলম বলেন, ‘গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিস্তা চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা, দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা, শান্তিপূর্ণ সীমান্ত নিশ্চিতকরণ ও ভিসা সহজীকরণসহ বাংলাদেশ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভারতের সামনে তুলে ধরেছে।রফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারকের আওতায় গঠিত বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভা ২৯ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তবাণিজ্য চুক্তির দরকষাকষির কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্পর্কে রফিকুল আলম জানান, দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নয়াদিল্লির দূতাবাসের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে উত্তর কোরিয়া। আর বেইজিংয়ে দূতাবাস থেকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ।মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যকার সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষরের ব্যাপারে উভয়পক্ষই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7ae30060, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, আজ থেকে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ সোমবার। প্রতীক পেয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়বেন প্রার্থীরা। আজ সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করার পর আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য এবার ১৮ দিন সময় পাবেন এমপি প্রার্থীরা।সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল রবিবার। অনেক প্রার্থী শেষ দিনে এসে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন চূড়ান্ত হয়েছে সব দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকা। শেষ দিনে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩৪৭ জন। এরফলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন।ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল থেকে শেষ পর্যন্ত একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ পড়েছে। এবারে নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আর রিটানিং কর্মকর্তার যাচাই বাছাইয়ে এর থেকে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।রিটানিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ইসিতে ৫৬০টি আপিল আবেদন জমা পরে। এ আপিল আবেদনের ওপর গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানী শেষে ২৮৬ জন তাদের প্রার্থীতা ফিরে পান। এ নিয়ে সারাদেশে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৬",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7c613d0c, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভালো হতো: সিইসি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ভালো হতো বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত স্বস্তি বা অস্বস্তি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল অংশগ্রহণ করছে না। অংশগ্রহণ করলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা প্রথম থেকেই তাদের আহ্বান জানাচ্ছিলাম যে, আপনারা অংশগ্রহণ করুন। আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, তারা সাড়া দেননি।’বিএনপি অংশ নিলে দেশের মঙ্গল—সিইসির আগের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেটা আগে বলেছি, অংশগ্রহণ করলে নির্বচনটা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে। না নিলে কী হবে সেখানে আমি যাচ্ছি না। অংশ নিলে ভালো হতো সেটা সবাই অনুভব করেছে।’আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কি না—জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না। সেটা নির্বাচনের পরে দেখা যাবে।’বিএনপির নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সেটা দেখা যাক। প্রতিহত যদি উনারা করতে চান সেটা উনাদের ব্যাপার, রাজনৈতিক কৌশল। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেব না।’জাপানি কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এখানকার কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন জাপানিরা। ওরা আমাদের নির্বাচনটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। সে জন্য ওরা পর্যবেক্ষণ করতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। তারা আরও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন এবং শেষ অবস্থাটা আমরা তাদের অবহিত করেছি, মনোনয়ন জমা পড়েছে, ওর পরে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7e19e5fd, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩," ‘বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে মূল্যায়নের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি’"," ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, সেটা দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোই ঠিক করবে। বাংলাদেশ কিংবা অন্য কোনো দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে মূল্যায়নের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।’গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে জহুর হোসেন চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ২০২৩–এ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার তারেক এ করিম। এটি সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শ্যামল দত্ত জানতে চাইলে পঙ্কজ সরন বলেন, ‘প্রতিটি দেশের জন্য নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি জানি। প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য ভালো পন্থা কোনটা, সেটা বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’পশ্চিমমা দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি আমাদের গণতন্ত্র শিখিয়েছেন, তারা সর্বদা আফগানিস্তানে গণতন্ত্র বা আফগানিস্তানে অবাধ নির্বাচনের কথা বলবেন। ভারত বলবে, দেখুন, আমরা একটি গণতন্ত্র। আমরা আমাদের গণতন্ত্র রপ্তানি করছি না। আমরা এটা স্বীকার করি যে প্রতিটি দেশের নিজস্ব পদ্ধতি আছে, প্রক্রিয়াও আছে।’পঙ্কজ সরন বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলব যে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনাদের প্রতি আমাদের শুভকামনা থাকবে। আপনার সামনে একটি নির্বাচন আছে, যেটি সবচেয়ে ভালোভাবে করার উপায় আপনাদের রয়েছে। আপনাদের প্রতিষ্ঠান আছে, আপনাদের গণমাধ্যম আছে, আপনাদের সবকিছুই আছে। আপনারা যথাসাধ্য করে যান, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং নির্বাচনে যে ফলাফল আসবে, তা মেনে নিন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c7bfcb15f, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ ডিসেম্বর আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা," আগামী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।আজ সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তারা বিএনপির দালাল। এসব বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন দেউলিয়া দল নয়, আওয়ামী লীগ দলীয় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে না। গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের যে কমিটমেন্ট এটা বিনষ্ট করে এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপি বা কাউকে দিবে এটা কখনো সঠিক হতে পারে না। এ ধরনের প্রস্তাব সরকার এবং দল দেয়নি।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে এ পর্যন্ত ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, প্রার্থী সংখ্যা ১৮৮৬ জন। স্বতন্ত্র ৩৫৭ জন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।’বিএনপি নেতা মঈন খানের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশের দিকে একটু নজর দিয়েন, ভোটকেন্দ্রের দিকে একটু তাকায়েন তাহলে বুঝতে পাররেন সারাদেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য কতটা উন্মুখ হয়ে আছে।’প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c78dd5f2c3, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশে^র চাপ নেই," নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী কাজ করছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা যখন যেখানে প্রয়োজন হবে তারা সেখানে মুভমেন্ট করবেন। গতকাল দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।ভোটারদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত শান্তি ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে। ভোট হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন। বাড়িতে গিয়েও নিরাপদ থাকতে পারবেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c77cd014f, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কি কি কাজ করছি।’তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করবে। পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইটিং অফিসাররা যখন যেখানে প্রয়োজন হবে, তারা সেখানে মুভমেন্ট করবেন।আজ রবিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে ইসি আলমগীর এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অত্যন্ত শান্তি ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে। আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন। বাড়িতে গিয়েও নিরাপদ থাকতে পারবেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c43a11ab9, আমাদের সময়, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি: ইসি আলমগীর," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। অতীতের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।’আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এ কথা বলেন।বিএনপি নির্বাচনে আসার বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল আমরা বলেছি। এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। যদি তারপরও কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছু করি না কেন তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।’নির্বাচনে বিদেশি চাপ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। আমাদের চাপ দেওয়ার রাইটও তাদের নেই। আমাদের প্রতি কারো কোনো চাপ নেই। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকের আসার তালিকা পেয়েছি। ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচনে একটি নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালা সকল সাংবাদিকদের অনুসরণ করতে হবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির বিষয়ে ইসি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছেন। সরকারের অনুকূলে তারা কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল।’জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c78f91d6b1, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ ভেঙে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দাবি," সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪০ বিশিষ্টজন। গতকাল এক বিবৃতিতে তফসিল বাতিলসহ জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে তাদেরই ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর প্রার্থীদেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। ফলে এর মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব নির্বাচন অসম্ভব। আর নির্বাচনের আগে নির্বিচারে মামলা, গ্রেপ্তার, বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় সাজা প্রদান ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন এমনকি রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের ফলে সরকারের জবাবদিহিতা বিলীন হয়ে যায়, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে এবং আইনের শাসন ও সুশাসন সুদূরপরাহত হয়ে পড়ে। তাই তারা অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী দলের প্রতি দমননীতি অব্যাহত রাখলে সরকারের বৈধতার সংকট থেকে যাবে, সমাজে ক্ষোভ ও বিরোধ বৃদ্ধি পাবে।বিবৃতিদাতারা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব সৈয়দ ড. মারগুব মোর্শেদ, মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবিএম সিরাজুল ইসলাম, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, অ্যাডভোকেট ড. শাহদীন মালিক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ ম-ল, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c78cf5279, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৮৯৬," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩৪৭ জন। ফলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন।আজ রবিবার রাতে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।তিনি বলেন, তফসিল অনুযায়ী আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। নির্বাচনে লড়তে মোট ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল ৭৩১ জনের। আপিল দায়ের করেছিলেন ৫৬০ জন, আপিল মঞ্জুর হয়েছিল ২৮৬ জনের এবং নামঞ্জুর হয়েছিল ২৭৪ জনের। এ ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৩৪৭ জন। এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬টি।তিনি আরও বলেন, এখন মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল থেকে একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ পড়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c73c67a401, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডে অনুমতি নয়," স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নির্বাচনবিরোধী কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করা যাবে না। যেহেতু বিজয়ের মাস, বিজয়ের দিন, সেজন্য আমরা কাউকে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করতে বারণ করছি না। তবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা এবং প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গতকাল শনিবার সকালেবিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিএনপির বিজয় র‌্যালি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী সে অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনে বাধা, নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা, প্রচার করা- এগুলো থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।১৬ ডিসেম্বর বিএনপিকে শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম বলেন, তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা বিজয় র?্যালি করবে। তবে তাদের লিখিতভাবে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।বিজয় দিবসে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্রদ্ধা জানান। পরে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ পুলিশের বিভিন্ন সংগঠন ও ইউনিটের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c766f2000, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনে থাকবে সেনাবাহিনী, রাষ্ট্রপতির সম্মতি"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম।তবে সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, সেটি পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন ইসি সচিব।এর আগে, বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।আধাঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে ইতিবাচক সায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি আশ্বাস দেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন তিনি। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ভোটের আগেপরে ১৩ দিন সেনা মোতায়েনের আলোচনা থাকলেও সেটি চূড়ান্ত নয় বলে জানান জাহাংগীর আলম।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c774356fe, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আজ রবিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অর্থবহ হয় সেই লক্ষ্যে আমরা সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে এই মুহূর্তে বলতে চাই, আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। এবার আওয়ামী লীগকে ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি। ২৮৩ আসনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন তারা।এর আগে নির্বাচনে আসা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সকলকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেছেন। এ সময়ের পরে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।আজ রবিবার দুপুর ১টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে চুন্নু বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন করবার জন্য আমরা এসেছি। কিন্তু আমরা পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নির্বাচনের বিষয়ে আজ এবং আগামীকাল, এ দুটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ প্রত্যাহারের দিন এবং আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দের দিন। তাই নির্বাচনটা আমরা কিভাবে করব বা করব না সেই বিষয়টা আজকের মধ্যেই পরিষ্কার হওয়া দরকার। সে জন্য আমাদের দলের চেয়ারম্যান সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এখন অফিসেই আছেন। আরও কিছু নেতারা রয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলা দরকার। তাদের সঙ্গে কথা বলে আজকে বিকেলে আমরা সব জানিয়ে দিব।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c716b78d7, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ৭ জানুয়ারি: নজরুল ইসলাম খান," দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘এখন দেশে যে নির্বাচনের খেলা চলছে, ওই ফলাফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি শুধুমাত্র ঘোষণা করা হবে। ’আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী এই খেলা বন্ধের দাবি জানাই। আমরা দাবি জানাই, জনগণ যেন এই নির্বাচনী খেলায় অংশগ্রহণ না করে। আমরা অনুরোধ জানাই, এই নির্বাচনের সঙ্গে এবং নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ থাকবে এবং অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের যুক্ত করবেন।’ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করি। এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি, এটা আমাদের আকাঙ্ক্ষা। ’এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল. ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c6b63a7cd, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন: আপিল শুনানি শেষ আজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আপিল শুনানি আজ শুক্রবার শেষ হচ্ছে।গত পাঁচ দিনের শুনানিতে এ পর্যন্ত ২৬৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০১ জনের আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৪৪ জন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৫২ জনের। আর চারটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি এবং অনুপস্থিত ছিলেন একজন প্রার্থী। এ পর্যন্ত পাঁচ দিনের আপিল শুনানিতে ২১৩ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। গতকালের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামানও রয়েছেন। এছাড়া আপিল আবেদন নামঞ্জুর হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম। আর ময়মনসিংহ-৩ আসনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোশাররফ হোসেন আজাদের প্রার্থিতা আপিলেও বাতিল ঘোষণা করা হয়।অন্যদিকে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এবং সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থী হাবিবুর রহমান এবং পটুয়াখালী-১ আসনে জাতীয় পার্টি-জাপার বৈধ প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেওয়া হয় শুনানিতে। এছাড়া ৫ম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে জাপার আরো দুই জন, জাতীয় পার্টি-জেপির এক জন, জাসদের এক জন, তৃণমূল বিএনপির এক জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এক জন ও ১৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৮ ডিসেম্বর হবে প্রতীক বরাদ্দ। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c715857b2, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘প্রিয় ভাই’ সাকিবের নির্বাচনী প্রচারণায় মাগুরায় রুবেল," নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের সঙ্গে যাননি সাকিব আল হাসান। তবে ক্রিকেটের মাঝে না থাকলেও ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজনীতির মাঠে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন মাগুরা-১ আসনে।পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন সাকিব। এই প্রচারণায় সাকিবের পাশে আছেন জাতীয় দলে সাকিবের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেন। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে রুবেল নিজেই জানিয়েছেন একথা। সাকিবের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে এই পেসার লেখেন, ‘মাগুরায় প্রিয় ভাইয়ের সাথে বিজয়ের দিনে বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে পথচলা।’আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আঙুলের চোটের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে না খেললেও বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার কথা আছে সাকিবের। আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে বিপিএল শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে রুবেল হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ ২০২১ সালে খেলেছিলেন বাগেরহাটে জন্ম নেওয়া এই পেসার। ঘরোয়া লিগের নিয়মিত মুখ হলেও জাতীয় দলের দরজা আর তার জন্য খোলেনি। আসন্ন বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন তিনি। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c6d05f929, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, শরিকদের নির্বাচনে জয়ের গ্যারান্টি দেবে না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শরিকদের কাউকে নির্বাচনে বিজয়ের গ্যারান্টি দেবে না আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমারও গ্যারান্টি নেই। আমাকেও চারজনের সঙ্গে লড়তে হবে। যদি তাদের মধ্যে কেউ জিতে যায়, আমাদের মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বিজয়ী হতে হবে। সাতটির বেশি আসন ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শরিক দলের যত নেতা আছেন, সবার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। যার যার প্রতীক নিয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কারও ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে। ১৪ দলে কিছু নৌকা মার্কা দেব। এরই মধ্যে আমি ১৪ দলের সমন্বয়ককে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। নির্বাচন তারা সবাই করুক, তাদের দলের প্রতীক নিয়ে। সাতটা নির্বাচন এলাকা আমরা নৌকার ছাড় দিতে পারব। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকালই আমরা জানিয়ে দিয়েছি। তিনিতো (আমীর হোসেন আমু) গণমাধ্যমকেও বলে দিয়েছেন।’তিনি বলেন, ‘১৪ দলের শরিকদের আরও দল আছে। ১৪ দলতো এক দল আর দুই দল না। তাদের বোঝাতে হবে যে আমরা মানছি না। এটা নেতৃস্থানীয় যারা তাদের কথা সুর যা হওয়া উচিত সেটাই হচ্ছে। যা হওয়ার হয়েছে। এর বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমাদের দলীয় প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচন করবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। স্বতন্ত্র নির্বাচনে জিতলে জিতবে। আমার জোর করে কারও বিজয় ছিনিয়ে আনব না।’ জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক প্রসঙ্গে দলের দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। সবাই শুধু বিভিন্ন দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন। এই সময়টাতে আমরা যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, আসনের ব্যাপারটা কম। মুখ্য হচ্ছে রাজনীতি। একটা সমঝোতা, একটা রাজনীতি। সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আজকে আমাদের নির্বাচন। বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তিকে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচন আসেনি তারা নাশকতা করছে। নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। এই নাশকতা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে। জনবিচ্ছিন্নতার কারণে তারা আন্দোলন জমাতে পারে না।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের কর্মসূচি শুরু হবে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে। ১৭ ডিসেম্বর আমাদের আলোচনা সভা। ১৮ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় শোভাযাত্রা করা হবে। সেদিন একযোগে সারা দেশে বিজয় শোভাযাত্রা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা বিএনপি ও তার দোসরদের, অন্যদিকে গুজব ভয়ংকরভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। এক একটা বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের দেশে এখন যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা—যেমন টিআইবি। এখনো ২৮টি দল নির্বাচন অংশ নিচ্ছে অথচ তারা বলছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। তারা জেনে শুনেই এটা করছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c6766ce78, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়’," বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেক রাষ্ট্র অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ কোনভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই ঠিক করতে পারে।আজ বৃহস্পতিবার মস্কোর আরএআইসি কনফারেন্স কক্ষে ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশ: সহযোগিতার নতুন দিগন্ত’ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন। যৌথভাবে কনফারেন্সের আয়োজক রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (আরএআইসি) এবং রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ।কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশিয়ান পার্লামেন্টট স্টেট দুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা বলেন, ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সাথে জ্বালানি ও কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।’রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, ‘রাশিয়া-বাংলাদেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি চালু হয়েছে। আগামীতে আরও দক্ষ জনশক্তি এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রেরণের সম্ভাবনা রয়েছে।’মস্কোতে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে কাজ করা সংগঠন রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাহিরের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং রাশিয়া বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মস্কোতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের একটি ভাস্কর্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারকে দেয়া হবে। এ ছাড়া সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায় রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হবে।’রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তাতিয়ানা মিশুকভস্কায়া আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির পাঠানো একটি বার্তা কনফারেন্সে পাঠ করে শোনান।কনফারেন্সে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত এলাকার বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে আলোচনা হয়।দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপ্লোম্যাটিক একাডেমি, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c6801e1a5, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের ওপর বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। আমরা আমাদের নিজেদের প্রেসারে (চাপে) আছি। একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের প্রেসার। এটা আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ড. মোমেন বলেন, ‘বহির্বিশ্ব আমাদের সহায়তায় কাজ করছে। বহির্বিশ্ব চায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তারা এর সঙ্গে যুক্ত করেছে কোনো ভায়োলেন্স (সংঘাত) নয়। আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং আমরা কোনো চাপে নেই, নিজেদের চাপে আছি।’বিএনপি দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের নির্বাচন চায় না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দাবি করলে ওদের জিজ্ঞেস করুন, কিন্তু আমার মনে হয় বিএনপি যে কাজগুলো করেছে, আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র) তাতে সন্তুষ্ট নয়। কারণ, আমেরিকাও জ্বালাও-পোড়াও চায় না। আমেরিকা সন্ত্রাসী তৎপরতা চায় না। সুতরাং আমার ধারণা, আমেরিকা তাদের প্রতি যথেষ্ঠ অসন্তুষ্ট।’তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক যে মাইন্ডসেট (মনোভাব) এটা তাদের (বিএনপি) কাছ থেকে আমেরিকা পায়নি। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আমরাও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের সঙ্গে ওদের মানসিকভাবে কোনো তফাৎ নেই।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c6a348f4a1, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী," পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের ওপর বিদেশের কোনো চাপ নেই, তবে নিজেদের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার চাপ আছে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এর আগে বিশ^বিদ্যালয়ের এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের নিজস্ব মূল্যবোধের জন্যই আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের নিজস্ব চাপের মধ্যে রয়েছি।’ তিনি বলেনÑ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচনকরতে চায়, অন্যান্য দেশ তা সমর্থন করছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, ভোটকেন্দ্রে আরও বেশি ভোটার আনা।সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যা করছে, তা যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করছে না; বিএনপি সহিংস কর্মকা-ের আশ্রয় নিচ্ছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c643dbf5d1, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩,সারাবিশ^ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে," যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, অন্য দেশে ভোট না দিলে জরিমানা হয়। কিন্তু আমরা তা করি না। আমাদের নির্বাচনের দিকে সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে। আমরা চাই ভোটাররা দলে দলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবেন। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৫২ বছর ধরে আমাদের বন্ধু। তারা সুষ্ঠু, অবাধ ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও তাই চাই। তবে সংঘাতমুক্ত নির্বাচনের গ্যারান্টি আমরা দিতে পারি না। কারণ আমাদের সংস্কৃতি এমন না। এর জন্য সব দলের একমত হতে হবে। প্রবাসীদেরও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য আগেই ভোটারদের তথ্য দিতে হবে। বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) একটা দূরত্ব হতে পারে। কারণ তারা সংঘাত ও সন্ত্রাস দেখতে চায় না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c66c42106, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩," ‘বিএনপিকে নির্বাচনে ফেরাতে সরকারের উদ্যোগ নেই, নেবে নির্বাচন কমিশন’"," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তারা যদি চায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করবে, তাহলে নির্বাচনে আশা উচিত ছিল। এই দলকে নির্বাচনে ফেরাতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই, এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ।’সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় প্লাজা ইন হোটেলে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের এনআইডি কার্ডের জটিলতা নিরসন ও বিমানবন্দরে হয়রানি রোধসহ তাদের ইনস্যুরেন্সের আওতায় এনে মরদেহ যাতে ঝামেলাবিহীন দেশে আনা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’সংগঠনের উপদেষ্টা বোরহান উদ্দিন শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলাম শাহিন ও ফয়েজ আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বাবু, এনাম, আবু তাহের প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c61cc8dd5, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ," বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছে জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। তিনি বলেন, `আমরা বাংলাদেশের ভোটাধিকার ইস্যুতে অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি।’সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে ছয়টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে ওই বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।বিষয়টি নিয়ে স্টিফেন দুজারিককে প্রশ্ন করা হয়। জিজ্ঞাসা করা হয়, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও আইসিএইডিসহ ৬টি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো দেশকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে ক্ষমতাসীনরা। মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে জাতিসংঘ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?জবাবে দুজারিক বলেন, আমরা অব্যাহত থাকে এই বিষয়ে যুক্ত রয়েছে। আমরা সব সংগঠনকে অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাই যেখানে সব বাংলাদেশি কোনো রকম চাপ বা ‍হুমকি ছাড়া স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c632e778b, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, মুক্তি পেল নির্বাচনী গান ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’," গানের মাধ্যমে সকলের কাছে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ নামে গানের শুভমুক্তি ঘোষণা করলো প্রযোজক প্রতিষ্ঠান ’সেরা বাংলা’। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হলো আরেকটি নতুন গান।আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ (সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক) এর দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটির কথা লিখেছেন জুলফিকার রাসেল। কণ্ঠ দিয়েছেন, মিলন মাহমুদ, মিজান রাজিব, অবন্তী সিঁথী, মীর মাসুম, নাশা ও মিরাজ। সুর ও সংগীতায়োজনে ছিলেন মীর মাসুম। আর গানটি প্রযোজনা করেছেন সেরা বাংলার ফাউন্ডার তৌহিদ হোসেন। গানটির উদ্বোধন ঘোষণা করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এমন একটি গান উপহার দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকেই ধন্যবাদ জানাই। গানের কথা এবং মিউজিক ভিডিও আমার বেশ ভালো লেগেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে চিত্র উঠে এসেছে। আশা করি দেশবাসীও গানটিকে পছন্দ করবে। আর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় নিশ্চয়ই গানটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানের শুভমুক্তিতে কথা বলছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছবি: সংগৃহীতগানটির শিল্পী ও কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ঐতিহাসিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় গান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্বাচনী প্রচারণাকে উৎসবমুখর করতে নির্বাচনী গানের ব্যবহার এখন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রতিবারই আওয়ামী লীগের প্রচারণায় নতুন গান যুক্ত হচ্ছে যার মাধ্যমে সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আমি মনে করি এ গানটিও নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। গানটির প্রযোজক তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেক গান হয়েছে। আরও নতুন নতুন হচ্ছে। ’নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটি নির্বাচনী প্রচারণায় আরেকটি নতুন সংযোজন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণায় এই গানটি সারা দেশের আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করবে। নির্বাচনী প্রচারণাকে করে তুলবে আরও উৎসবমুখর। মূলত, নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবের আমেজ আনতেই আমাদের এই গানটি প্রকাশ করা। গানটির শিল্পী ও কলাকুশলীরা ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তারা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় গানটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাবে। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5f1ff6802, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে," পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আমরা এর মধ্যে অনেক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, পুলিশ ইতোমধ্যে তা নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমাদের, তার সব ধরনের প্রশিক্ষণ আছে, লজিস্টিকস ও ইক্যুইপমেন্টও আছে। আমরা আমাদের সব জনবল নিয়ে প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচনপূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনপরবর্তী বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। তফসিল ঘোষণার পর আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের যেসব দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, আমরা পালন করছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণকে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। সফলভাবে ইতিপূর্বে আমরা অনেক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, আগামীতেও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।পুলিশপ্রধান বলেন, যে কোনো নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য আমাদের গোয়েন্দাভিত্তিক অপারেশন পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা জানেন, বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করা হচ্ছে। পুলিশের যে সক্ষমতা আছে, নাশকতাকারীদের তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আছে বলে মনে করি না। যে কোনো নাশকতা মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।আইজিপি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের তালিকা পাইনি। তবে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা পেয়েছি। সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান আমরা সবসময়ই চালাই, এখনো চালাচ্ছি। প্রতিনিয়ত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e83a7a7, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘বন্ধের’ নির্দেশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি যাতে না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে কমিশন।ইসির চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোট দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।এতে বলা হয়, এ অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো সভা, সমাবেশ বা সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5803139a, আমাদের সময়, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী ব্যস্ততার মাঝেই মমতাজের নতুন গান," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারও মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ফোক গানের শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। নির্বাচনী কাজে বর্তমানে এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই ব্যস্ততার মাঝেও নতুন গানে কণ্ঠ দিলেন মমতাজ। গানের শিরোনাম ‘ভ্যাট’।জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল রবিবার গানটি প্রকাশ হয়েছে। ফোয়াদ নাসের বাবুর সুর-সংগীতে এর কথা লিখেছেন তুষার মিজান। গানটি রেকর্ড হয়েছে বাবুর স্টুডিওতে।মমতাজ বলেন, ‘সচেতনতা তৈরির কোনো কাজের প্রস্তাব পেলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। পরিবেশদূষণ, বাল্যবিবাহসহ সচেতনতা তৈরির কত ইস্যু নিয়ে যে গান গেয়েছি, তার হিসাব নেই। মানুষ ভালোবাসে, পছন্দ করে তাই এসব কাজ করতে নিজের কাছেও আনন্দ লাগে। আমি মনে করি, শিল্পী হিসেবে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব অন্যদের থেকে অনেক বেশি। সেই জায়গা থেকে কাজগুলো করে থাকি।’তিনি আরও বলেণ, ‘সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, মানুষের জন্য কিছু একটা করার সুযোগ পাচ্ছি। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা সমাজ ও দেশের জন্য করা। এতে শিল্পীমন তৃপ্ত হয়, মানুষ হিসেবেও এক অর্থে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়।’গানের গীতিকার তুষার মিজান বলেন, ‘এটাকে ত্রিপদী জারিগান বলে। ভ্যাটের টাকা দিয়ে রাষ্ট্রের কী কী উন্নয়ন হবে, সে কথাই আমি গানের কথায় তুলে ধরেছি। গানের বিষয়বস্তু যেহেতু স্পর্শকাতর, তাই গানটি লেখার সময় আমাকে অনেক কিছু ভাবতে হয়েছে। সারা দেশে গানটি আগামী সপ্তাহখানেক ধরে বাজবে। মানুষকে ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে ও সচেতনতা তৈরিতে এমন আয়োজন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5d742b8b, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সব প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশের: আইজিপি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে ভুমিকা রাখতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দেড়শ বছরের পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা এরমধ্যে অনেক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে আসছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্যও পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমাদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ আছে, লজিস্টিকস ও ইক্যুইপমেন্টও আছে। আমরা আমাদের সব জনবল নিয়ে প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি।’চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের যেসব দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, আমরা পালন করছি। অবাধ-সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণকে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। সফলভাবে ইতোপূর্বে আমরা অনেক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, আগামীকেও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য আমাদের গোয়েন্দাভিত্তিক অপারেশন পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা জানেন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করা হচ্ছে। পুলিশের যে সক্ষমতা আছে নাশকতাকারীদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস আছে বলে মনে করি না। আমাদের সেই সামর্থ্য ও সাহস আছে। যেকোনো নাশকতা মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।’আইজিপি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের তালিকা পাইনি, তবে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা পেয়েছি। সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযানোর আমরা সবসময়ই করি, এখনও করছি। প্রতিনিয়ত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’ ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e168d10, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩," বিআরপিওডব্লিউএ নির্বাচনে সভাপতি আহমেদুল হক, মহাসচিব লুৎফর রহমান"," হামদর্দ বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.টি. আহমেদুল হক চৌধুরী পিপিএম বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির (বিআরপিওডব্লিউএ) ২০২৩-২০২৫ সেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী। নির্বাচনে ‘আহমেদুল হক-লুৎফর’ পরিষদের সকলে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন। গত শনিবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।বিআরপিওডব্লিউএ এর নির্বাচনে নির্বাচিত অন্য কর্মকর্তারা হলেন সহ-সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সাত্তার পিপিএম, সহ-সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হক পিপিএম, কোষাধ্যক্ষ: মো. আব্দুল কুদ্দুস খান পিপিএম, যুগ্ম-মহাসচিব: মো. সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব: মো. বক্তিয়ার হোসেন ভূঞা, দপ্তর সম্পাদক: কাজী শাহাবুদ্দিন আহম্মদ, সম্পাদক: লাইব্রেরি ও ডরমেটরী: নাসির উদ্দিন খান, সহকারী কোষাধ্যক্ষ: মো. জাহিদ আলম বিশ্বাস।সদস্য পদে এস.এম গোলাম মোস্তফা, সেতারা বেগম, মুহাম্মাদ আবদুল আওয়াল পিপিএম, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মো. ওবায়দুল হক পিপিএম (বার), মো. নজরুল ইসলাম মিয়া বিপিএম, এম এ মালেক, মো. সিরাজুল ইসলাম পিপিএম (বার), পিপিএম, মো. ইন্তেজার রহমান পিপিএম, মো. আবদুল ফাত্তাহ খান, মো. আমীর আলী জয়লাভ করেন। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি একটি কল্যাণধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। গত ৪০ বছর যাবত এ সমিতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যে সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সমিতির সদস্য কেবলমাত্র তারাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e303005, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে শরিকদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হবে: ওবায়দুল কাদের," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জিততে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরাও করব, শরিকদেরও করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনের রেজাল্ট আনতে হবে।’আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার জন্য ইতোমধ্যে অনেকে বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি বাংলাদেশে অবস্থান করছে, নির্বাচন পর্যন্ত তারা থাকবে। ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি, আরব লিগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে। পর্যবেক্ষকদের তালিকা আরও আছে সেটা শিগগিরই জানা যাবে।’তিনি আরও বলেন, ‘ইসি বলেছে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী কত দিন থাকবে। আমরা সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিপক্ষে। বাংলাদেশে সংবিধানে নির্বাচনে তাদের কী ভূমিকা, তা লিপিবদ্ধ আছে।’এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে আছে, তাদের বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। বলপূর্বক বা ফ্রিস্টাইলের কোনো নির্বাচনের ভূমিকা কেউ নেবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যাকে বলে, যেটা গণতন্ত্রেরই বিষয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের শরিকদের কারও কোনো আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে।’নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে– জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইলেকশনে বিনা প্রতিযোগিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী যেই হোক, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্যাবিনেটে এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়। ক্যাবিনেট শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। এটা আমরা এখনো নিশ্চিত না। এটা সব কাগজেরও নিউজ না। আজও জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে।’জাতীয় পার্টিকে কোনো সিট ছেড়ে দেওয়া হবে কি না– জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের করতেই হবে। অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে সিট ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তাদের আসতে হবে।’দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানো গঠনতন্ত্রবিরোধী কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগেরটা আগে, আজকেরটা আজকে। আগামীকালেরটা আগামীকাল। পরিস্থিতি ও পুনর্মূল্যায়নের বাস্তবতার নিরিখে আমরা মূল্যায়ন করি। এটাই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো বিষয়ে কোনো জটিলতা দেখা দিলে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (সভাপতি) ব্যবস্থা নিতে পারেন। দেশের সার্বিক গণতন্ত্র যেখানে সংকটের মুখে, বিএনপিসহ বিরোধী দল গণতন্ত্রের প্রতি নির্বাচনের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের সভাপতির বিশেষ দায়িত্ব পালনের সুযোগও আমাদের গঠনতন্ত্রে রয়েছে।’সংসদ সদস্যদের হলফনামায় বিপুল সম্পদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তো ওইভাবে দেখি না। আমি দেখব নির্বাচন কমিশন কী বলছে। নির্বাচন কমিশন অনেকের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি কাউকে দুর্নীতিবাজ মনে করে, সেটা তাদের ব্যাপার। যদি দুর্নীতি দমন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন না করে, তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়, অনুমতিপ্রাপ্ত কাউকে তো এই মুহূর্তে আপনি দুর্নীতিবাজ বলতে পারেন না।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দীসহ আরও অনেকে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5d7b4abe, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি," বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে মানবাধিকার সংগঠন জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদ ফ্রান্স।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদের সভাপতি শামিমা আক্তার রুবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও ফ্রান্স বিএনপি উপদেষ্টা মানিক মিয়া।পরে মন্ত্রণালয়ের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী নাগরিক মুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমীনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি শামিমা আক্তার রুবী, ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিয়া, প্রবীণ সাংবাদিক এম মান্নান আজাদ, বাগপার কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফ্রান্স বিএনপি উপদেষ্টা মানিক মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক কৃষক আব্দুল কাইয়ুম, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কামরুল হাসান, যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন দেওয়ান, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, আলী সুফিয়ান কাউসার, এডভোকেট মামুন, যুবদল নেতা শেখ সেলিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা সিয়াম, মোহাম্মদ ওমর, সাব্বির আহম্মেদ, মোহাম্মদ রুবেল, ছাত্রনেতা রবিন আহমেদসহ আরও অনেকে।এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আজকে বাংলাদেশে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত, মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কোথাও নেই। বাংলাদেশের মানুষকে অত্যাচার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। বিরোধী দল করার কারণে বাবাকে না পেয়ে মাকে ধরে নিয়ে যায়, ছেলে মেয়েদের ধরে নিয়ে যায়। গত ১৫ বছর ধরে সাধারণ মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারাগারে বন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীসহ সকল জাতীয় নেতাদের মুক্তি ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশে গণতন্ত্র থাকলে সবার অধিকার তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5cfa4fc6, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে ২৫ জনের রিট," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুই দিনে রিট আবেদন করেছেন ২৫ জন। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত রবি ও সোমবার মোট ২৫ প্রার্থীর আইনজীবীরা এসব আবেদন করেছেন।গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বপন কুমার সরকার, রাজবাড়ী সদর। সুব্রত চন্দ্র সরকার, নেত্রকোণা-২। খন্দকার আহসান হাবিব, টাঙ্গাইল সদর। জয়নাল আবেদীন, নারায়ণগঞ্জ সদর। মুহম্মদ খাইরুল বাশার লাভলু, নরসিংদী-৫। মো. মোস্তফা জামাল, ঢাকা-১৫। সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট। জাকির হোসেন, সিলেট-৩। মো. শামীম মিয়া, নেত্রকোণা-৫। নূর মোহাম্মদ মিয়া, শরীয়তপুর-৩। মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নরসিংদী-৫। সোহেল রানা, সাভার।সোমবার রিট করেছেন- মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন, ঝিনাইদহ সদরের বিএনআরপির প্রার্থী মো. ইউসুফ পারভেজ, কক্সবাজার-৩ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল আলম, কক্সবাজার-১ আসনের চৌধুরী এবাত নুর, চট্টগ্রাম- ৬ আসনের নুরুল করিম আফসার, ঢাকা-১০ এস এম আশিক বিল্লাহ। পটুয়াখালী-৩ সালমা আক্তার শিল্পী, পাবনা-১ আসনের অধ্যাপক আবু সাঈদ, টাঙ্গাইল-৭ মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, যশোর-৬ হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, পটুয়াখালী-২ এস এম এনায়েত করিম, চাঁদপুর-৫ মো. শাহানাজ ব্যপারী।হাইকোর্টের একাধিক দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c500780c44, আমাদের সময়, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তায় সময়োচিত পদক্ষেপ," আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। দেশব্যাপী বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও পেশাদার সন্ত্রাসীরা অস্ত্র সংগ্রহে তৎপর হয়ে উঠেছে। এসব অবৈধ অস্ত্রধারী নির্বাচনকালে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ও ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে। ভোটগ্রহণের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান একটি সময়োচিত পদক্ষেপ।পুলিশ সূত্র বলছে, টানা ২৩ দিন অভিযান চলবে। দেশের সীমান্ত অঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র বিক্রেতা ও নির্বাচনে সহিংসতা চালাতে পারেÑ এমন রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের তালিকা ধরে অভিযান চালানো হবে। একটি তথ্যে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো চলতি বছর তিন হাজারেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।একটি বিষয় লক্ষ করা যায় যে, জাতীয় নির্বাচনের সময় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। চাহিদা থাকায় পাচারও বাড়ে। নানা কৌশলে পাচার করা অস্ত্র পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন শহর-উপশহর ও গ্রামগঞ্জেও। প্রধানত নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্যই নিয়ে আসা হয় এসব অবৈধ অস্ত্র। এর অনেক নজির রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো ইত্যাদি কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে। এ অবস্থায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযান সফল করে তুলতে হবে। কেননা আমরা চাই নির্বাচনকালে যেন নিরাপত্তাব্যবস্থা অটুট থাকে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক। সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই যাতে ব্যাহত না হয়, লক্ষ রাখতে হবে সেদিকেও। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এটি জরুরি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c53bd7a02, আমাদের সময়, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত, জাপান ও ফিলিস্তিন"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা আসছেন। সর্বশেষ ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও আরব লীগের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণে আসছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।আজ রবিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সপার্ট মিশন আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। ভারত, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ থেকে পর্যবেক্ষক আসবে। জাপানও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আরও কিছু আবেদন আছে।’কোন কোন দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয় নিশ্চিত করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত, ফিলিস্তিন, জাপান, ওআইসি ও আরব লিগ। ভারত থেকে ৩ জন আসবে, ফিলিস্তিন থেকে ৬ জন (এদের মধ্যে কিছু বাইরে থেকে আছে, আবার দূতাবাস থেকেও থাকবে)। জাপানের ক্ষেত্রে যেটা শুনেছি ১৬ জন। এ ছাড়া ওআইসি ও আরব লিগ কতজন আসবে সেই তথ্যটা এখন আমার কাছে নেই।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিষয় নিশ্চিত করেনি বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘যে আবেদনগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলোর ওপর কাজ হচ্ছে। যখন নিশ্চিত হবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c4abd659f3, আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনকালীন সহিংসতা বন্ধ হোক," সামনে আসছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। প্রতিটি অঞ্চলেই এর প্রভাব এখন বিদ্যমান। তবে বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দেয়। অনেক সময় এই সহিংসতায় প্রাণহানিও ঘটে। এটি বন্ধ করা একটি জরুরি প্রয়োজন। এই সহিংসতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ। প্রতিটি দলই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে তারা অনেক সময় সহিংসতার আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া নির্বাচনীব্যবস্থার দুর্বলতাও নির্বাচনকালীন সহিংসতার একটি অন্যতম কারণ।নির্বাচনকালীন সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থাকে আরও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কঠোরভাবে তদারক করতে হবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতা বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি পরস্পরের সহযোগিতা করে এবং নির্বাচনকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে, তা হলে নির্বাচনকালীন সহিংসতা অনেকাংশে কমে আসবে।অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনীব্যবস্থা আরও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কঠোরভাবে তদারক করতে হবে। সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতা বন্ধে সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও সমাজের সবস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।রাজিন হাসান রাজশিক্ষার্থী, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c4ac307a811, আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, তৃণমূল বিএনপির সুলতান ২১০০ টাকা নিয়ে নির্বাচনে," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন মো. সুলতান। হলফনামা অনুযায়ী, তিনি মাত্র ২১০০ টাকা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার চরবালিয়াকান্দি গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে। তৃণমূল বিএনপির এ প্রার্থী অষ্টম শ্রেণি পাস।সুলতানের হলফনামায় দেওয়া তথ্যমতে, কৃষি খাত থেকে তার আয় ২ লাখ টাকা, নগদ আছে ২১০০ টাকা। একটি মোটরসাইকেল, স্ত্রীর ১৫ ভরি স্বর্ণ, টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল থাকলেও কোনো মূল্য উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া তার কৃষিজমি এক একর, স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ১০ একর, ১৫ লাখ টাকার অকৃষিজমি, টিনশেড ওয়ালঘর, মুরগি খামার আছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e83a7a7, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩,১৮ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘বন্ধের’ নির্দেশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি যাতে না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে কমিশন।ইসির চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোট দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।এতে বলা হয়, এ অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো সভা, সমাবেশ বা সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c35d5fc069, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩,সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সামাজিক জাগরণও জরুরি," নির্বাচনের জাহাজ ঘাটে এসে ভিড়েছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাতে সওয়ার হয়নি। ২০১৪-র মতো এবারও বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনী তরী ছেড়ে দেবে বলে মনে হচ্ছে। সময় থাকতেই বিএনপির অনুকূলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তৎপরতা চালিয়েছিল। বলা যায়, এতে সরকার ও ইসির ওপর সুষ্ঠু নির্বাচনের চাপও তৈরি হয়েছিল। দেশের ভেতরে আগে থেকেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট নেতিবাচক কথাবার্তা ও ধারণা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে ২০০৯-এর পরে বিএনপির জন্য এবার ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এর কারণ মাঠের বাইরে দেশি-বিদেশি অরাজনৈতিক শক্তির পক্ষে এর বেশি কিছু করা তো সম্ভব নয়। তাদের তৎপরতায় সৃষ্ট চাপ কাজে লাগাতে হবে মাঠের খেলোয়াড়কে অর্থাৎ বিএনপিকে। কিন্তু বিএনপি প্রতিরোধ-প্রত্যাখ্যানের পথেই থেকে গেল। তাদের রাজনীতির হিসাবটা স্পষ্টভাবে বোঝা গেল না।এদিকে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারের কোনো কোনো মহল বিএনপিকে নির্বাচনে চায়নি। সে কারণেই সম্ভবত বিএনপি নেতাদের এত ধরপাকড় ও পুরনো মামলায় দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে।আবার বিএনপিও সম্ভবত তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না। হয়তো তারেক রহমান নিজেই এ বাধা তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু বিএনপিও আদতে আওয়ামী লীগের মতোই নির্বাচনমুখী দল। সরকার যদি জেলজুলুমের চাপ না বাড়িয়ে আপস-সমঝোতার পথে থাকত, আমার ধারণা তাতে মূল দল না এলেও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের আরও নেতাকর্মী নির্বাচনে শামিল হতেন। তাতে তৃণমূল বিএনপি বা অন্যান্য বিএনপি ঘরানার নতুন দলগুলো বা এর মধ্যে কোনো কোনোটি রাজনৈতিক দলের রূপ পেতে পারত। সেটা দেশের ও গণতন্ত্রের জন্য ভালো হতো। বলা যায়, উভয়পক্ষই একে অপরকে ছাড় না দেওয়ার পথ ধরেই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে কঠিন জায়গায় ঠেলে দিল।আন্তর্জাতিক নানা চাপ থাকলেও এখন বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে। বিএনপির একদফার আন্দোলন- বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন- এখনকার বাস্তবতায় কি আদায় করা সম্ভব? আমরা যদি আইয়ুব ও এরশাদ সরকারের পতনের পটভূমির কথা ভাবি তা হলে সহজেই বলা যাবে যে, শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ বর্তমান ধারার আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। বর্তমানে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা নব্বইয়ের গণআন্দোলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তখন একদিকে সরকারি দল ছাড়া মাঠ পর্যায়ের সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সমাজ আন্দোলনে একাট্টা হয়ে শরিক হয়েছিল। অন্যদিকে ছদ্ম সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ওপর থেকে সামরিক বাহিনী ও আমলাতন্ত্রসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমর্থন প্রত্যাহার করায় পদত্যাগ ছাড়া তাদের জন্য আর কোনো বিকল্প ছিল না। একদিকে সার্বিক ঐক্য ও অন্যদিকে সার্বিক সমর্থন প্রত্যাহার সরকারের জন্য টিকে থাকার সুযোগ রাখেনি। বিএনপির আন্দোলনে কিছু ইসলামি ডানপন্থি ও কিছু বিচ্ছিন্ন বামপন্থি দলের এবং বিচ্ছিন্নভাবে নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের কিছু সমর্থন রয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের পক্ষে কিছু ইসলামি ডানপন্থি দল, কিছু বিচ্ছিন্ন বামপন্থি দল, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের কিছু অংশের সমর্থন রয়েছে।বিএনপির তুলনায় শেষোক্তদের সংখ্যা সরকারের পক্ষেই বেশি বলে মনে হয়। আজকের যুগের শক্তিশালী বৈদ্যুতিক এবং ঐতিহ্যবাহী মুদ্রণমাধ্যমও বিপুলভাবে সরকারের পক্ষে রয়েছে। তদুপরি সামরিক বাহিনী, পুলিশ, আমলাতন্ত্রসহ সব অঙ্গের সমর্থনও রয়েছে সরকারের পক্ষে। ক্ষমতার এ ধরনের ঐক্য এবং বিপরীতে তুলনামূলকভাবে দুর্বল বিরোধী পক্ষ মিলে অতি ক্ষমতাধর কর্তৃত্ববাদী সরকার তৈরি করে। এটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সেদিক থেকে দুই বড় দলেরই আরও দায়িত্বশীল দূরদর্শী ভূমিকা পালন জরুরি।এমন একটি অবস্থায়ও বিএনপি যে তাদের আন্দোলনের পক্ষে বেশ কিছুটা জনসমর্থন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল তাতে বোঝা যায় বেশ কিছু মানুষ তাদের ক্ষোভ, উদ্বেগের প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন। ফলে দেশি-বিদেশি সমর্থনে তারা প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের পক্ষে যে অবস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছিল তার প্রভাব কম নয়। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই চাপের মধ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার তাগিদ থাকত এবং এখনো রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপি ও তার মিত্রদের পক্ষে একদিকে সংসদে জোরালো আওয়াজ তোলার মতো সদস্য পাওয়া সম্ভব হতো, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হতো। আগের মতো সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ বা ব্রুট মেজরিটি পাওয়া সম্ভব হতো না।এবারই সরকারের পরিবর্তন হতো বলে মনে হয় না, তবে একটা কার্যকর সংসদ পাওয়া যেত বলে মনে হয়। সংসদে ভালোভাবে থেকে ভেতরে-বাইরে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে সংসদে দায়িত্বশীল কার্যকর ভূমিকা পালন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পোক্ত করায় অবদান রাখতে পারত। এই অবদান পরবর্তী নির্বাচনে তাদের বাড়তি সুবিধা দিত।তবে এ কথাও আগাম বলা যায় যে, বিরোধী দল মাঠে শক্তি সঞ্চয় করলে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ, এ যুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধী ইস্যু ইত্যাদির ব্যবহার বাড়িয়ে বিএনপির জন্য অস্বস্তিকর বাস্তবতা তৈরি করত। যদিও তাদের আমলে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন বা একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি হলেও বলতে হবে যে, এ আমলে সমাজে ও রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিকে হয়ে এসেছে। দেশে ধর্মান্ধতা, রক্ষণশীলতা ও সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। বিপরীতে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিচেতনার বিকাশ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে, এমনকি তা কঠিন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর মতো রাজনীতি করছে বা করবে তা মনে হয় না।দেখা যাচ্ছে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিপরীত রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেরাই ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবানুগ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বরং বিএনপিই অভিযুক্ত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি হিসেবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং বেতারে স্বাধীনতার একজন ঘোষক হয়েও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির ভ্রান্তি ও ট্র্যাজেডি। তিনি ও পরবর্তীকালে খালেদা জিয়া জামায়াত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি ও সরকার গঠন করেছেন। দলে আওয়ামী লীগবিরোধী বাম প্রগতি চেতনার কিছু মানুষ যুক্ত হলেও বর্তমান নেতা (বিদেশ থেকে) তারেক রহমান দলীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী একই রাজনৈতিক ধারাই অনুসরণ করছেন।বাংলাদেশের জন্য আজ জরুরি হলো গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে প্রগতিচেতনার রাজনীতি ও সমাজভাবনা গড়ে উঠেছিল সেই বাতাবরণ ফিরিয়ে আনা। আজ প্রয়োজন রাজনীতি ও সমাজে উদার মানবিক ধারাকে বেগবান করে তোলা। নয়তো এ সমাজে সত্যিকারের জ্ঞানচর্চা, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ বা আলোকিত সমাজ গঠন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, দিন দিন আওয়ামী লীগসহ সব ধারার রাজনীতিই পশ্চাৎমুখী হয়ে পড়েছে। সমাজ ও রাজনীতিতে রক্ষণশীলতা, অনুদার চিন্তা, অসহিষ্ণুতা, উগ্রতা ও উগ্রবাদ বেড়েছে এবং ব্যক্তিগত লোভ ও স্বার্থ হাসিলের প্রবণতা অপ্রতিহত হয়ে পড়েছে। রাজনীতি বা সমাজ তাতেই গা ভাসিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচন বা সরকার বদল হলে গুণগত কোনো পরিবর্তনের আশা করা বৃথা।সমাজ ও রাজনীতি কতটা ক্ষমতার সংকীর্ণ গ-িতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে তা বোঝা যায় গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা, প্রায় ষোলো হাজার বেসামরিক নাগরিকের হত্যাকা-, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু, প্রায় পনেরো লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা, পঞ্চাশ হাজার নারীর বিনা স্বাস্থ্যসেবায় সন্তান প্রসবে বাধ্য হওয়া, মাসাধিককাল ধরে প্রায় বিশ লাখ মানুষ পানি, বিদ্যুৎ বা নেটওয়ার্ক ছাড়া থাকল এবং যখন ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের শহরে শহরে যুদ্ধবিরোধী বিশাল সব সমাবেশ হচ্ছে তখন বাংলাদেশে সে রকম কোনো সমাবেশ দেখা যায়নি। কেবল শুক্রবার জুমার পরে কিছু ইসলামি দল রুটিন কাজের মতো সাম্প্রদায়িক চেতনার সমাবেশ করেছে। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ না হতেই ইসরায়েল আবার বর্বর হামলা শুরু করেছে এবং প্রতিদিনই শত শত বেসামরিক নাগরিক হত্যা করছে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন সংঘবদ্ধ প্রকাশ্য প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। অথচ এখনই বহু বছরের প্যালেস্টাইন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পক্ষে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জোরালো বক্তব্য উঠে আসছে। তাতে পশ্চিমের সরকারগুলোরও সাড়া মিলছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্র থেকেও শোনা যাচ্ছে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা। এ সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকেও ন্যায্য মানবিক দাবিতে আওয়াজ ওঠাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয়নি। এ আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব ও সমাজের বন্ধ্যত্বেরই প্রমাণ দেয়। তবে বলতে হবে, এই অসাড়তার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে এ প্রসঙ্গে শক্তিশালী বক্তব্য দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা হননি। কিন্তু প্রয়োজন ছিল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দেশের জনমতের শক্তিশালী প্রতিফলন। আমাদের জনগণ যে গাজা ইস্যুতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং তারা প্রতিক্রিয়া জানাতেও আগ্রহী সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল বা অন্যরা যেন উদাসীন, অসচেতন।বলা যায়, সামগ্রিকভাবে সমাজের মূল্যবোধ ও চেতনার মান দুর্বল, এ সমাজ আপসকামী ও ব্যক্তিস্বার্থে আবদ্ধ। সামাজিক-সাংস্কৃতিক জাগরণ ও আন্দোলন ছাড়া এ সমাজের অবক্ষয় এবং পরাভব ঠেকানো যাবে না। কাজটা কেবল রাজনীতির নয়, সমাধান কেবল নির্বাচনে নেই। এ এক সর্বব্যাপী সংকট এবং তার প্রতিকারও হতে হবে সব অঙ্গনে সংস্কার ও জাগরণমূলক কাজের মাধ্যমে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া দরকার, তবে সমাজকে ব্যাধিমুক্ত করা ও জাগিয়ে তোলার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3f1b13e3 , আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনী আচরণবিধি আওয়ামী লীগের জন্য প্রযোজ্য, বিএনপির জন্য নয়"," বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নির্বাচনী আচরণবিধি দলটির জন্য প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জামালপুর জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।মো. আলমগীর বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কোনো চাপ দেয়নি, তাদের চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও নেই। বিদেশিরা জানতে চায় সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা বুঝতে চায় আমরা একটি ভালো নির্বাচন করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো নিয়েছি কি না। নির্বাচন যথাসময়েই হবে, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।’বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই বিষয়ে কারও কোনো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বা হিংসাত্মক কার্যক্রম করছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে- এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি চায়নি। অনুমতি চাইবে পুলিশের কাছে, আমাদের কাছে না।’জামালপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শানিয়াতজ্জামানসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3bff555c1, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩,আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ : বাণিজ্যমন্ত্রী," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হয়তো শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা আছে।গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেটফর ডেমোক্রেসির যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, করোনাপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে- এটি সত্যি। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দেশে মাংস আমদানি করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় মাংস আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। মাংস আমদানি করলে দেশের মানুষকে ৪০০-৪৫০ টাকায় খাওয়ানো সম্ভব।টিপু মুনশি বলেন, ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় যখন আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তখন ডিমের দাম কমে গেল। আলুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে।বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইডেন মহিলা কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ অংশ নেয়। এতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ জয়লাভ করে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3b2b276d10, আমাদের সময়, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত বিজিবি," বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেছেন, সবার আগে দেশের স্বার্থকে বিবেচনায় রাখতে হবে। সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি পূর্ণ প্রস্তুত। অবৈধ অস্ত্র যাতে দেশে না আসতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময়ে কাজ করি। তার পরও নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। সীমান্তের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রতিদিন ২শ থেকে ২৫০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।গতকাল চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বিজিবির শততম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর বাহিনীতে সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন ৩৮ জন নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক।বান্দরবানে কিছু এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, এখন শান্তি বিরাজ করছে। যারা বাড়িঘর ও এলাকা ছেড়েছিল, তারা ফিরে এসেছে। মিয়ানমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষ হচ্ছে। এ জন্য বর্ডারে আমরা অধিক সতর্ক রয়েছি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c38fa28e1, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন সুষ্ঠু করতেই প্রশাসনে রদবদল: ইসি আলমগীর," নির্বাচন সুষ্ঠু করতেই প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না। ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা দরকার, তাই তারা করেছেন। বিদেশিরা তাদের কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তারা বদ্ধ পরিকর।নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, ‘যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c392a2515, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক," বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিজিবি পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বিজিবি।আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিএন্ডসি) বিজিবির শততম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।নতুন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, আনুগত্য ও নির্ভরযোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মতৎপরতা, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূলভিত্তি।প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর বাহিনীতে সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন ৩৮ নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক। নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিজিবির মহাপরিচালক।তিনি বলেন, সবার আগে দেশ, এরপর বাহিনীর স্বার্থ, অতঃপর অধীনস্থ ও সহকর্মীদের স্বার্থ এবং সর্বশেষে নিজের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।মহাপরিচালক বলেন, ‘নবীন সৈনিকরা এসব গুণাবলির প্রতিফলন ঘটিয়ে বাহিনীর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে বলে আমি আশা করছি। বিজিবির চারটি মূলনীতি- ‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খল ও সুচারুরূপে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। ’তিনি বলেন, কিংবদন্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী সাফল্যের পথ পরিক্রমায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যেকোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। স্বাধীনতার পর দেশ গঠন এবং দেশ মাতৃকার সেবায় এ বাহিনীর সদস্যরা গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে বিজিবি আজ সকলের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3a9e89c02, আমাদের সময়, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর নির্বাচনই প্রত্যাশিত," দেশের সব মহল সম্যক অবগত আছেন, নানামুখী সহিংসতা-অরাজকতা-নাশকতাকে পরিপূর্ণ অবজ্ঞা করেই কিছু বিরোধী দল আহূত অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে দেশব্যাপী গণপরিবহনসহ সবকিছুই প্রায় স্বাভাবিক পর্যায়ে সচল রয়েছে। নির্বাচন ঘিরে বিদেশি থাবার প্রভাব সম্পর্কে সম্মানিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে বার্তাটি দিয়েছেন, এতে মনে হয়- কিছু দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিমাত্রায় উৎসাহী এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক অপরাজনৈতিক কর্মযজ্ঞে অবাঞ্ছিত-অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ করছে। হীনস্বার্থ চরিতার্থে দেশগুলোর এমন অপতৎপরতা সচেতন মহলসহ আপামর জনগণের কাছে বিভ্রান্তিমূলক অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচ্য। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেম-সাহসিকতা-নির্ভীকতার পরিচয় দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। লাল-সবুজ পতাকার প্রিয় মাতৃভূমি কখনো কোনো পরাশক্তির কাছে মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও না করার ব্রত নিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে পররাষ্ট্রনীতির অপূর্ব নিয়ামকের ভিত্তিতে দেশ আত্মমর্যাদা-আত্মনির্ভরশীলতায় পরিপূর্ণ বিশ্বাসী।বিশ্ব পরিম-লে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত নয়; আকাশচুম্বী অগ্রগতি-সমৃদ্ধি অর্জনে উঁচুমাত্রিকতায় মর্যাদাসীন। সব শর্ত পূরণ করে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে পবিত্র জন্মভূমি। ৩০ লাখ শহীদান, ২ লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ সম্ভ্রম ত্যাগের অবিনশ্বর অধ্যায় নির্মাণ করে বিশ্ব ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনে অকুতোভয় জাতি দেশের ভবিষ্যৎকে অধিকতর অত্যুজ্জ্বল করার অভিপ্রায়ে অগ্রগণ্য রয়েছে। এই বিজয় মাসে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত পরিপূর্ণ স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার মহৎ উদ্দেশ্যে প্রচণ্ড প্রতিকূলতা সংহার করে মানবসম্পদ-অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সামাজিক নিরাপত্তা বিধানসহ প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে দেশ ইতোমধ্যেই বলিষ্ঠ সোপান রচনা করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক-মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপকে সফল এবং সার্থক বাস্তবায়নে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনভিপ্রেত কোনো বিচ্যুতি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।ইতোমধ্যেই দেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে প্রচলিত আইনে বয়স কাঠামোয় যোগ্যতাসম্পন্ন ভোটাররা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতিশয় কৌতূহলী প্রণোদনায় উজ্জীবিত। কতিপয় বিরোধী দল বা জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ সত্ত্বেও ইতোমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে নির্বাচনী তফসিল। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত। তফসিলে বর্ণিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন দল-জোট প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমাদানের বিষয়টি সম্পন্ন করেছে। নিজ নিজ অঞ্চলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অত্যন্ত উঁচুমার্গের উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকঢোল পিটিয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান দেশবাসীকে অধিকমাত্রায় অনুপ্রাণিত করছে। একদিকে দলের মনোনয়ন ও অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের পূর্বাভাস অতিশয় অনুভূত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০টি আসনের বিপরীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৬ জন ও ৭৪৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুসারে মোট প্রার্থীর এক-চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র এবং প্রতি আসনে গড় প্রার্থীর সংখ্যা ৯।বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক বার্তায় এটিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওই বার্তায় বলা হয়, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ঘটা করে এবং উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেক আগ্রহ এবং উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য- যা নির্বাচন কমিশন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপির সাবেক ৩৩ সংসদ সদস্যসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমাদান অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন তুলে ধরে। ১ ডিসেম্বর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা যাবে না। দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে সেটিই হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।’এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সুচারুরূপে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক যৌক্তিক ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রণিধানযোগ্য অনুষঙ্গ। নির্বাচন কমিশন যথার্থ দক্ষতা-যোগ্যতা-নিরপেক্ষতার সক্ষমতায় সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে- এটিই কাম্য। কমিশনের শক্তিমানতাই নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্যতম নিয়ামক। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই চলমান সরকারের অধীন যথাযথ আইনি এখতিয়ারে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন-সরকার গঠন একটি স্বাভাবিক পরিক্রমা। জনগণের সমর্থনের ওপর পূর্ণাঙ্গ আস্থার ভিত্তিতে ঘোষিত রায়ে ফল গ্রহণ এবং তদানুসারে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। সভ্যসমাজের ইতিহাস পর্যালোচনায় গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠনের সব কর্মকৌশল অবশ্যই প্রতিপালনযোগ্য। মূলত প্রাগ্রসর সমাজের দৃষ্টান্ত হিসেবে মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানই নির্বাচন কমিশনের অবারিত সাফল্য।দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিই নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিভাত। কিছু সংখ্যক সরকারবিরোধী দলের ভোট বর্জন এবং আন্দোলনের মুখে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ এবং দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের মূল লক্ষ্য। এ জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে চায় সংস্থাটি। সংস্থাটির মতে, রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত ও নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখা গেলে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। ওই লক্ষ্য অর্জনে মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ সফর করে বিভাগীয়, আঞ্চলিক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। ডিসি-এসপিদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর প্রশাসন, পুলিশ এবং ইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কম পড়লেও সমস্যা নেই। তবে ভোটকেন্দ্রে গণ্ডগোল ও অনিয়ম যেন না হয়। আইন ও বিধি মোতাবেক ভোটগ্রহণ করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’গত ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ৩০০ আসনভিত্তিক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ ও হিজড়া ভোটার ৮৫২ জন। সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬। বিজ্ঞজনের মতে, তারাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ১৮ থেকে ৩৩ বছরের এসব ভোটারের সমর্থনেই ঠিক হবে কোন দল ক্ষমতায় বসবে। তাই তরুণ ভোটারের চিন্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ভাবনা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনের ইশতেহার। তা ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নেও তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে নির্বাচন কমিশনও তরুণ ভোটার-প্রার্থী বিবেচনায় ভোটে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে। নির্বাচনে ভোটাররা ঘরে বসে নিজ ভোটকেন্দ্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারবে।এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে তরুণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগের ফলে সৎ-যোগ্য-দক্ষ-দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন। আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক এবং গুণগত শিক্ষায় পর্যাপ্ত উন্নীত করে তরুণদের কর্মসংস্থান ও জীবনপ্রবাহের সচলতা সৃষ্টিতে আকর্ষণীয় যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞই প্রত্যাশিত। শুধু বাচনিক কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, প্রায়োগিক বিবেচনায় দৃশ্যমান সব উপযোগিতা তরুণ ভোটারদের উদ্দীপ্ত করার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c37fcb0bf, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচন: বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিল শুরু আজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীরা আজ মঙ্গলবার থেকে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বিষয়ে তারা আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে।এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন। এজন্য ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে। ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে।তিনি আরও জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ করে আপিল শুনানি হবে ক্রমানুসারে।আপিল আবেদনগুলো শুনানি শেষে আপিলের ফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া, আপিলের রায়ের অনুলিপি শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে, রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির আবেদনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে।এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল সোমবার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে।ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c387501f4, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুরু," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে মোট ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। প্রার্থীতা ফিরে পেতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে এসে আপিল আবেদন শুরু করেছে।আজ মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অস্থায়ী ক্যাম্পে এই আপিল আবেদন শুরু হয়। যা চলবে আগামী ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে।গতকাল সোমবার সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে ইসি।ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপিল দায়ের করতে পারবেন। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে।ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c36b259fc2, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড গঠন করেছে বিজিএমইএ , আগামী ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতিগণ এবং পরিচালকগণসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন।অন্যান্য সদস্য হলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইকাব) সভাপতি শমী কায়সার এবং ইকাবের সাবেক সভাপতি এ. এস. এম. নাঈম।আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন এমসিসিআইর সভাপতি কামরান টি. রহমান।অন্য সদস্যরা হলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক নিজামুদ্দিন রাজেশ। নির্বাচনের অন্তত ৮০ দিন আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন বোর্ড। সরকারের বাণিজ্য সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ১৫ দিন আগে বিজিএমইএ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ আগামী ১২ এপ্রিল শেষ হবে। ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য আগামী বছরের মার্চে বিজিএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।,Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c346eed89, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, অবসরের ৩ বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়: হাইকোর্ট," সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের পর তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।আজ সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেয় হয়। শুনানি শেষে বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।রায়ে আদালত বলেন, রিটকারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় সম-অধিকার ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত শুনানি করেন।চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। এছাড়া একই ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরওি অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। এবার একত্রে সবগুলো রুলের চূড়ান্ত শুনানি করা হয়েছে।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং যদি উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c2ba6bd3a6, আমাদের সময়, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে জাতিসংঘ," সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণে।নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমি আপনাকে আগে যা বলেছি, তা-ই বলব। বাংলাদেশি অন্য কিছু সাংবাদিককে মহাসচিবের পক্ষ থেকে বলেছি- আসন্ন নির্বাচন, যা হতে যাচ্ছে- তাতেযারা অংশগ্রহণ করছেন, এর অংশীদার, জনগণ, বিভিন্ন দল, মিডিয়া সবাইকে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে হবে।বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ইস্যুতে অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনে জড়িত সবাই, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ সবাইকে একসঙ্গে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে জনগণ অবাধে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারেন, অবাধে ভোট দিতে পারেন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে ও শান্তিপূর্ণভাবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c29513f27, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, আবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ জাতিসংঘের," জাতিসংঘ আবারও বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রশ্নের জবাবে এই তাগিদ দেন। এ সময় তিনি দেশের জনগণের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান।স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী। তবে ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপিসহ কয়েকটি দল জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো পরামর্শ আছে কি...?জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হলো—নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজসহ সবাই মিলে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করুন। যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে, স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হয়।’এর আগেও স্টিফেন ডুজারিক একই আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, আমরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন দেখেছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সব পক্ষকে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানাই, যেখানে জনগণ অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে, মত প্রকাশ করতে পারে কোনো ধরনের ভীতি ও হয়রানি ছাড়াই।’তারও আগে গত ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যা যা করা সম্ভব, তা করতে সব অংশীজন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো আমরা অব্যাহত রাখব।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c28ff474b, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ সোমবার। প্রতীক পেয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়বেন প্রার্থীরা। আজ সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করার পর আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য এবার ১৮ দিন সময় পাবেন এমপি প্রার্থীরা।সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল রবিবার। অনেক প্রার্থী শেষ দিনে এসে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন চূড়ান্ত হয়েছে সব দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকা। শেষ দিনে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩৪৭ জন। এরফলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন।ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল থেকে শেষ পর্যন্ত একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ পড়েছে। এবারে নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আর রিটানিং কর্মকর্তার যাচাই বাছাইয়ে এর থেকে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।রিটানিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ইসিতে ৫৬০টি আপিল আবেদন জমা পরে। এ আপিল আবেদনের ওপর গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানী শেষে ২৮৬ জন তাদের প্রার্থীতা ফিরে পান। এ নিয়ে সারাদেশে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৬০ টি। রবিবার ৩৪৭টি মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে মোট প্রার্থী দাঁড়াল ১৮৯৬ জন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3bff555c1, আমাদের সময়, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ : বাণিজ্যমন্ত্রী," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হয়তো শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা আছে।গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেটফর ডেমোক্রেসির যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, করোনাপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে- এটি সত্যি। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দেশে মাংস আমদানি করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় মাংস আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। মাংস আমদানি করলে দেশের মানুষকে ৪০০-৪৫০ টাকায় খাওয়ানো সম্ভব।টিপু মুনশি বলেন, ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় যখন আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তখন ডিমের দাম কমে গেল। আলুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে।বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইডেন মহিলা কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ অংশ নেয়। এতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ জয়লাভ করে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c24ea3038, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচনে কোন দলের কত জন প্রার্থী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। শেষ দিন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম।ইসির তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী ৩০৩ জন (পাঁচটি আসনে দুজন করে প্রার্থী দিয়েছে দলটি, দুটি আসনে রেখেছে ফাঁকা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ৩০৪ জন (১৮টি আসনে দুজন করে প্রার্থী রয়েছে দলটির), তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) প্রার্থী ১৫১ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) প্রার্থী ১১৬ জন, জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী ২১৮ জন।নির্বাচনে মশাল প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৯১ জনকে প্রার্থী করেছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) প্রার্থী ১৪২ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী (গামছা) ৩৪ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার) প্রার্থী ৪৫ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার) প্রার্থী ৩৯ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির (হাতুড়ি) প্রার্থী ৩৩ জন, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের (ফুলের মালা) প্রার্থী ৪৭ জন, আর সারাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৭৪৭ জন।গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই চলবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনপত্র বাতিল হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c238484ae, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, জনগণ অংশ নিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে: আইনমন্ত্রী," আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে উল্লাসিত। জনগণ অংশ নিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আখাউড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যগংজাই মারমার কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে মনোনয়নপত্র ফরম জমা দেওয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি যখন নির্বাচন করেছিল তখন কিন্তু জনগণ ভোট দিতে যায় নাই। সে কারণে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।’মনোনয়নপত্র ফরম জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ শিকদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হেসেন।উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাকের পার্টি থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে শাহীন খান, জাতীয় পার্টি থেকে তারেক আদেল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে বজলুর রহমান মিলন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c242b593c, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের ট্রেন কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কেউ থামাতে পারবে না। গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে। যত বাধাই দেওয়া হোক যথা সময়ে নির্বাচন হবে।আজ শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকারসহ অনেক দেশের নির্বাচন অনেক সময় বিরোধী দলের অনুপস্থিতে হয়। কিন্তু সেইসব নির্বাচনকে কেউ অবৈধ মনে করে না। কারণ, যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে আসে, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। সেখানে দু-একটা দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে বা অংশগ্রহণমূলক হবে না—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।তিনি আরও বলেন, ‘৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা একটা বিরাট সাফল্য। এ ছাড়া বিএনপিরও অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, আমি কয়জনের নাম বলব... অনেক দিন পর নির্বাচন ঘিরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c216fe0627, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই : ইসি সচিব," নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, বিএনপিসহ ইসির নিবন্ধিত যে কোনো দল বললেও এখন আর তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। বিকাল ৪টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। ফলে তফসিল পুনর্নির্ধারণের সুযোগ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।বিএনপি ছাড়াই কি নির্বাচন হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারা বুঝে নেন।’ মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আপনারা আগে থেকেই অবহিতরয়েছেন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। তাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মনে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের সময়সীমা বর্ধিতকরণের কোনো সুযোগ নেই।জাহাংগীর আলম বলেন, প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আমরা শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কয়টি দল কোন আসনে, মোট কত প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে তা জানাতে পারব। আচরণবিধির প্রতিপালন নিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাক্ষাৎ করেছিলেন। বিশেষ করে আইজিপি মহোদয় সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয় কোনো নির্দেশনা রয়েছে কিনা তা জেনে নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া কিছু কিছু প্রার্থী কোনো কোনো জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ করায় আমাদের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদের তলব করেছে। এ ছাড়া রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাহী হাকিমরাও কাজ করছেন। তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।তফসিল অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। এর আগে বিকাল ৩টায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসেন। এরপর বিকালে জনপ্রশাসন সচিব, সকালে জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব ও আইজিপির সঙ্গে ইসির বৈঠক হয়।বৈঠক শেষে পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলমান অববোধ-হরতাল উপেক্ষা করে রাস্তাঘাটে সাধারণের উপস্থিতি বেড়েছে; সবকিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। আর যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো ধরনের শঙ্কা দেখছেনও না তিনি।আইজিপি আরও বলেন, আমরা সিইসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যখনই নির্বাচন আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আইন অনুযায়ী যে কাজ করা দরকার তাই করে থাকি। আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আশা করছি, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব। আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে পরিস্থিতি ভালো বলে জানান আইজিপি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো হুমকি দেখছি না। আশঙ্কাজনক কোনো খবর নেই বা বোধও করছি নাবিরোধীদের চলমান আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, আমরা তৎপর আছি। আমাদের তৎপর থাকার কারণে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে ৮০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো থ্রেট দেখছি না। এর পরও গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সব জায়গায় কাজ করছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1f757fc7, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে কোনো থ্রেট দেখছেন না আইজিপি," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো থ্রেট দেখছেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।ভোটের দিনের কোনো থ্রেট আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো থ্রেট দেখছি না। এরপরও গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সব জায়গায় ফিট করা আছে। তারা যে তথ্য দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই আলোকে ব্যবস্থা নেবে।’হরতাল-অবরোধ নিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আগের তুলনায় গাড়ি চলাচল ৮০ শতাংশ বেড়েছে। গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আইজিপি বলেন, ‘আমরা সিইসির সঙ্গে কথা বলেছি। যখনই নির্বাচন আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসি। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে করার জন্য আইন অনুযায়ী যে কাজ করার দরকার তাই করে থাকি।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1f97dac5, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে, কে আসলো তা বড় নয়: আইনমন্ত্রী"," আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি সেখানে ভোট দেয় তাহলে নির্বাচনে কে আসলো, আর কে আসলো না সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচনের জন্য জনগণের যে ইচ্ছা, নির্বাচন হোক জনগণের যে প্রত্যাশা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।’আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, ‘বিগত ১০ বছর আমি এ এলাকার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার কাছে জনগণের যা প্রত্যাশা ছিল, আমি তা রাখতে পেরেছি। আমি তাদের কাছে দোয়া চেয়েছি। জনগণ আমার জন্য দোয়া করছেন।’ জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। গত ১০ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণকে সেবা করে গেছি। আপনারা ভাল ভাবেই জানেন আমার কী অবস্থা।’মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে সকাল থেকে কসবা পৌর মুক্তমঞ্চ এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তা জনসমাবেশে পরিণত হয়। সেখানে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি আইনমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি রয়েছে। আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। আমি ১৮ তারিখের আগে কোনো ভোট ভিক্ষা চাইব না। ১৮ তারিখের পরে এসে ভোট ভিক্ষা চাইব। আমি বিগত ১০ বছর আপনাদের এমপি, মন্ত্রী নয়, আপনাদের সন্তান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করি।’ কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1c30cd0d12, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইইউ," বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যে গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রত্যাশার কথা বলে ইইউ। বৈঠক শেষে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ কথা জানান। তবে তিনি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও নেননি।আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ ধরে নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন বিরতি রেখে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো টানা অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে।এর মধ্যে গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে যান ঢাকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। বেলা ৩টা থেকে দুই পক্ষে বৈঠক হয় প্রায় দুই ঘণ্টা।বৈঠকে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার আগ্রহের কথা বলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা। নির্বাচন কমিশনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছে।ইইউ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় আছি। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা সামগ্রিক বিষয় জেনেছি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের খুঁটিনাটি জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার দল খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।বিএনপি ও তার সঙ্গে থাকা দলগুলোর ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কীভাবে সম্ভব, সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন অবশ্য নেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত। আগেই জানিয়ে দেন, তারা কোনো প্রশ্নের জবাব দেবেন না।পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ প্রতিনিধিরা এর আগেও একাধিকবার এসেছেন। সহসাই তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন টিম আসবে বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের চারজনের এক্সপার্ট (ইলেকশন অবজারভার টিম) এসে গেছেন। তারা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে গেছে; এটা তো তারা জানতেন না। আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানিয়েছি। গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে প্রত্যাশার কথা বলেছে, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেন সিইসিও।সিইসি বলেন, আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে বলেছি- ফ্রি, ফেয়ার, পিসফুল অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের (ইইউ রাষ্ট্রদূত) জানিয়েছি, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গেছেন। তারা প্রশাসন, জনগণকে এ বিষয়গুলো অবহিত করছেন, যাতে করে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়। ইসির অবস্থানে ইইউ সন্তুষ্ট বলেও মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, তারা আমাদের বক্তব্যে যতদূর বুঝেছি সন্তুষ্ট হয়েছেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের যে আন্দোলন সেটিকে ‘রাজনৈতিক বিষয়’ উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, কমিশন নিজেদের এই রাজনৈতিক বিষয়ে সম্পৃক্ত করবে না। আমরা বলেছি রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা নিজেদের সেখানে এনগেজ করতে পারি না। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছে।সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সভায় অংশ নেন।এর আগে গত জুলাইয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশে আসে। দলটি নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, ‘বাজেট স্বল্পতার’ কথা বলে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় ইইউ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1b748928, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে কাজ করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী," খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সতর্কভাবে নির্বাচনে কাজ করতে হবে। আগুন সন্ত্রাস, হরতাল-অবরোধ মানুষ আর সমর্থন করে না। বিএনপি ভোটে না এসে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করলে তা রুখে দাঁড়াতে হবে।’আজ বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নিয়ামতপুর কমিউনিটি সেন্টারে ষষ্ঠবারের মতো নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রীকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে একটি মহল নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে। আগুন সন্ত্রাস, গাড়ি পোড়ানো, হরতাল-অবরোধ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা আবার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই একটি মহল বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্র করেই পরিবারসহ হত্যা করেছে।’খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটারদের ভোট প্রদানে যেনো কোনো রকম সমস্যা না হয় সে দিকে দৃষ্টি রেখে ভোট পরিচালনা কমিটি সাজাতে হবে। কুচক্রী মহল যেনো ভোটারদের আটকিয়ে রাখতে না পারে এবং ভোট-পরবর্তী সময়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, সব আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1bc3bf6d, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, যে দলের হয়ে নির্বাচন করবেন হিরো আলম," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচন করেবন।আজ বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস থেকে হিরো আলমের পক্ষে মননোয়নপত্র সংগ্রহ করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ।সুজন রহমান শুভ বলেন, ‘হিরো আলম দুবাই থেকে ঢাকায় আসছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বগুড়ায় এসে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। হিরো আলম আর একতারা (সুপ্রিম পার্টির নির্বাচনী প্রতীক) একই সুঁতোয় গাঁথা।’বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম নামের এক ব্যক্তির পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।’গত ১০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পায় নবীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হুসেইনী আল মাইজভান্ডারী দলটির প্রতিষ্ঠা। দলটির নির্বাচনী প্রতীক একতারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1b38ae51, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পেছানো নিয়ে কিছু বলতে পারব না: আইনমন্ত্রী," নির্বাচনের তারিখ পেছানোর বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। সেই গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন অনেক মত থাকতে পারে। ভিন্নমতের লোকেরা কথা বলতে পারে। সেই অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।’আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার। সেইটার ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব। দেশের শান্তিরক্ষা এবং জানমাল রক্ষায় আমরা সচেষ্ট থাকব।’গণমাধ্যম ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মধ্যে নির্বাচন পেছানো নিয়ে যে কানাঘুষা চলছে- এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানো হবে কি না, সেটা একমাত্র নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে। আমি কিছু বলতে পারব না।’ স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক বলেন, ‘কসবা-আখাউড়ার মানুষের উন্নয়ন করাই হলো আমার কমিটমেন্ট। যে ক্ষেত্রেই হোক, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন, চাকরির ক্ষেত্রে উন্নয়ন, যোগাযোগের উন্নয়ন যা মানুষের উপকারে আসে সে ব্যাপারে আমার কমিটমেন্ট রয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’পরে কসবা মহিলা ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আনিছুল হক ভূইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, মো. সাইদুর রহমান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম খা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1a747a8c, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন," জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন বলে দাবি করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা-৪ আসনের জাপা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এ দাবি করেন তিনি।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও ক্লিন, ফেয়ার নির্বাচন হবে বলে আশা করছি। আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব। প্রার্থী আওয়ামী লীগও দিয়েছে, জাতীয় পার্টিও দিয়েছে। আমি আশাবাদী এবারও জিতব। তারপরও রাজনীতিতে শেষ কথা নেই। রাজনীতির মেরুকরণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে আরও কিছু হতে পারে।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপার এ নেতা বলেন, ‘আজকের মধ্যে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আমি যতটুকু জানি, রওশন এরশাদ অবশ্যই আসছেন এবং নির্বাচন করবেন।’গত সোমবার জাপার ২৮৯ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তখন রওশন এরশাদের জন্য ময়মনসিংহ-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফাঁকা রাখা হয়। রওশন এরশাদের মনোনয়নের বিষয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি আমাকে একাধিকবার ফোন করেছেন। প্রথমে দুটি ফরমের কথা বলেছেন, পরে তিনটি ফরমের কথা বলেছেন। আমার চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, ‘‘উনি তিনটি ফরমের কথা বলেছেন, তিনি এলে তিনটা ফরমই দিও’’।’চুন্নু বলেন, ‘আমি বলেছি, আপনি (রওশন) যদি লোক পাঠান বা আপনি যদি হুকুম করে নির্দেশ দেন আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসব আপনাকে। তিনি আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন নাই, কোনো লোকও পাঠান নাই।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c174ab9539, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন করছেন বিএনপি নেতা একরামুজ্জামান," স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। সোমবার বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মামলায় জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্টকরতে চাচ্ছি না।’পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।এদিকে একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়ায় বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।নাসিরনগর থানাসূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে মাঠপর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ আসনে সাবেক এমপি সাফি মাহমুদ তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c198ad134, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ঢাকায় ইইউ’র কারিগরি প্রতিনিধিদল," আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের মিশন নিয়ে ঢাকা পৌঁছেছেন ইইউ’র চার নির্বাচনী কারিগরি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় তারা পৌঁছান।আগামী রবিবার থেকে প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শুরু করবে। প্রথমে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধিদলের চারজন হলেন, ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইইউ। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায় ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট।চিঠিতে ইইউ জানিয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। সেই চিঠিতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছিল ইইউ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1a738202, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে: সালমান এফ রহমান," বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আজ বুধবার দোহার ও নবাবগঞ্জে আলাদাভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন সালমান এফ রহমান।আজ সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন সালমান এফ রহমান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‌‘দু’একটি দল ছাড়া বাকি সব দলই ভোটে অংশ নিচ্ছে। অনেক আসনে আওয়ামী লীগেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ভোটের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করি।’প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। তবে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, কোনো অপশক্তি এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে না, তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই। যে সকল রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। যারা করেনি তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাই। কোনো অপশক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে আমি চাপ বলব না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতান্ত্রিক ও সংবিধানপরিপন্থী কোনো কাজ বর্তমান সরকার করছে না। তাই এই অপশক্তি বর্তমান সরকারের কাছে মুখ্য নয়।’তিনি বলেন, ‘দোহার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলাকে আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।’পরে নবাবগঞ্জ থেকে দোহার যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় সড়কে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঢাকা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1b0a04ab, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় পুরো বিশ্ব: ইইউ রাষ্ট্রদূত," পুরো বিশ্ব বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।’এ সময় চার্লস হোয়াইটলি জানান, তিনি কোনো প্রশ্ন নিতে চান না। তবে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘না, ধন্যবাদ।’বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। এটাকে আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই চারজন এসেছেন।’সিইসি বলেন, ‘তারা (ইইউ প্রতিনিধিদল) দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়— সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’আজ বিকেল তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক চলে। সিইসির নেতৃত্বে বৈঠকে চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এ প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইইউ-এর ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, সংস্থাটির পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c173012fb6, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচন পেছাতে লিগ্যাল নোটিশ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (উকিল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এ নোটিশে।গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আইনগত (হাইকোর্টে রিট) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।ভোটগ্রহণের ৫২ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।আইনজীবী আকন্দ জানান, ঘোষিত তফসিল পেছানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া উচিত।আকন্দ আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠিয়েছি। এখন দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে, মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে নোটিশ পাঠিয়েছি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c173013af7, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, সমঝোতার অপেক্ষায় নির্বাচনমুখী দলগুলো," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি, গণতান্ত্রিক বাম জোটসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এখনো নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে নিজ দলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন দাখিলেই মনোযোগী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে জোট ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। সমঝোতার বৈঠক না করে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দেওয়ায় ১৪ দল, জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে আগ্রহী দলগুলো কিছুটা শঙ্কাবোধ করছে। শেষ মুহূর্তে কী হতে যাচ্ছে এ বিষয়েও চূড়ান্ত বার্তা পাচ্ছে না তারা। দ্রুত সমঝোতা না হওয়ায় ভেতরে ভেতরে ক্ষোভও বইছে তাদের মধ্যে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের নির্বাচনী সতীর্থ জাতীয় পার্টির মধ্যেও শেষ মুহূর্তের কোন্দল চলছে। আছে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব। তবে দলটির নেতৃবৃন্দের ভাষ্য, এই সংকট অচিরেই শেষ হবে। এরপরেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় যাবে দলটি।চৌদ্দ দলের শরিকরা মনে করেন তাদের আলোচনা দেরি হয়ে যাচ্ছে। জোটের ক্ষতি হোক এমন আচরণ যেন আওয়ামী লীগ না করে সে বিষয়েও আহ্বান তাদের। এ ছাড়াও নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, ধর্মভিত্তিক দলের জোট ও অন্য সব নির্বাচনমুখী দলের সঙ্গেও খোলামেলা আলোচনা হওয়ার দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।একাদশ জাতীয় সংসদে জাপা ও বিভিন্ন শরিক দলের মধ্যে ৩৫ আসনে সমঝোতা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা-১ ওয়ার্কার্স পার্টি; পিরোজপুর-২ জেপি; বরিশাল-৩, বরিশাল-৬, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৪, ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, ঢাকা-৪, ঢাকা-৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, নারায়ণগঞ্জ-৫, সুনামগঞ্জ-৪, ফেনী-৩ ও চট্টগ্রাম-৫ জাতীয় পার্টিকে; মুন্সীগঞ্জ-১ ও লক্ষ্মীপুর-৪ বিকল্পধারা বাংলাদেশ; ঢাকা-৮ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও চট্টগ্রাম-২ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। এ ছাড়া বেশ কিছু শরিক দল তখন মনোনয়নবঞ্চিত হয়। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ফলে আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থী এসব আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কাসহ নানাবিধ বিষয় রয়েছে।এদিকে জোটের শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু জাসদের তিনশ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে তিনি নিজেও জাসদ থেকে মনোনয়ন প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান বলে একাধিকবার বলেছেন। হাসানুল হক ইনুর আসন কুষ্টিয়া-২ খালি রেখে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত ইনুকে কিছু জানায়নি তারা। আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা যিনি পরে গণফোরাম থেকে এমপি হয়েছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম উঠিয়েছেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও তার মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি আওয়ামী লীগ।এ বিষয়ে সুলতান মনসুর আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে গত ৫৩ বছর রাজনীতি করেছি। ভবিষ্যতেও তা-ই করব। সেক্ষেত্রে দল যখন যেখানে প্রয়োজন অনুভব করবে, আমি সেখানেই কাজ করব।’এ বিষয়ে গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সমন্বয় করব।প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে আগামীকাল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এবং বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আমাদের সময়কে বলেন, ‘জোটের সমঝোতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে এখনো কিছু জানায়নি।’ তিনি বলেন, ‘সমঝোতার বিষয়টি যত দেরি হবে ততই শরিকদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হবে। আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থী মাঠে ইতোমধ্যে কাজ করছে, পরে তাদের মাঠ থেকে ফিরিয়ে আনা জটিল হবে।’জোটের দুই শরিক দল বাসদ ও গণআজাদি লীগের দুই নেতা আওয়ামী লীগের ফরম উঠিয়েছিলেন; কিন্তু তারা মনোনয়ন পাননি। তাদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু জানানো হয়নি বলে জানান গণআজাদী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট এসকে শিকদার। তিনি অভিমানের সঙ্গে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এক ডাক দিলে আমরা দশ ডাকে সাড়া দেই; কিন্তু তারা আমাদের গুরুত্বহীন মনে করে।’জোটের আরেক শরিক দল জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘জোটের সমঝোতা কবে হবে তা জানানো হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল আমরা যেন যে যার মতো করে মনোনয়ন কার্যক্রম শেষ করি। তা ছাড়া নির্বাচনী প্রচারও তো শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। সময় তো আছেই। এও সত্য যে, সমঝোতা আগে হলে প্রস্তুতিটা আরও ভালো করে নেওয়া যেত।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন কো-চেয়ারম্যান আমাদের সময়কে বলেন, জাতীয় পার্টি ২৮৭টি আসনে মনোনায়ন দিয়েছে। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ মনোনয়ন ফরম না নেওয়ায় তার নিজের আসনসহ ১৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। অবশেষে রওশনের দাবি পূরণ করেই নির্বাচনের দিকে যাবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার পথও জাপা খোলা রাখবে বলে জানান এই নেতা।নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এবার আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আসন বণ্টন বা জোটের সমঝোতায় ওই এলাকায় প্রার্থী এলে তিনি সরে দাঁড়াবেন কি না জানতে চাইলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি নৌকার লোক। সুতরাং নৌকার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কথা না। দলের নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আবার দল প্রয়োজন মনে করলে সরে দাঁড়াব। কারণ আমার মতো ৫০ জন পিন্টু এমপি না হলে দেশের কিছু হবে না; কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন মানুষ প্রধানমন্ত্রী না হলে দেশে আবার পেছন দিকে যাত্রা শুরু করবে।’জোটের শরিকরা আসন পাবে : কাদেরপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সমন্বয় করব। যেখানে যা প্রয়োজন তা করব। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কিছু ফাইনাল করা হবে।নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারব। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা এলে স্বাগত।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1717d9ca5, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের প্রশিক্ষণ, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা টিমের উদ্যোগে ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রচারণা ক্যাম্পেইনের প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডপর্যায় থেকে দেড় সহস্রাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। এ ছাড়া এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ফারহানা নাসরিন আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব শ্রেণির ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।,Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c157933e1, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: ইসি আনিছুর," বিএনপি নির্বাচনে আসবে কী আসবে না তাদের একান্ত বিষয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে আসার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে নির্বাচনের তফসিল পুনর্বিবেচনা বা নির্ধারণের সুযোগ এখনও আছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে বার বার আমাদের পক্ষে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তাদের নির্বাচনে আসার অধিকার যেমন আছে, তেমনি না আসারও অধিকার রয়েছে। তবে কাউকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেউ তা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি আনিছুর রহমান। মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।কক্সবাজার ও বান্দরবনের নির্বাচন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ মন্তব্য করে মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নির্বাচনী এলাকা, ভোটার, প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সিদ্ধান্ত প্রদানে সংশ্লিষ্টরা বদ্ধপরিকর।’এই মুহূর্তে কোনো এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আজকে যেটা ঝুঁকি কাল সেটা নাও হতে পারে। নতুন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করে কোনটা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ তা নির্ধারণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c157a1112, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন তাদের নিরাপত্তা, আবাসন সেবাসহ সার্বিক প্রস্তুতির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তারের সঙ্গে সভা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তাই শুধু নয়, যারা নিজ খরচে আসবেন; তারা কোন হোটেলে থাকবেন, কোন এলাকায় পর্যবেক্ষণে যাবেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সব মিলিয়ে কমপ্লিট সিদ্ধান্ত নিতে এ সভা করা হয়েছে।সচিব বলেন, সার্বিক বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এ সভা হয়েছে। এটা একটা গতানুগতিক সভা। কেননা প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই এই ধরনের সভা হয়। এতে করণীয় কী, আবাসন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এসব নিয়ে সভা হয়ে থাকে। তার আলোকেই আজকের সভাটি হয়েছে।জাহাংগীর আলম বলেন, এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের যে বৈদেশিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা আছে, তা অনুসরণ করে যারা নিজ খরচে পর্যবেক্ষণ করতে চান তাদের আগমন এবং ইসি থেকে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেই আমন্ত্রিত মেহমানদের কীভাবে একটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া।ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি মেহমানদের জন্য বিমানবন্দরে আমরা একটা হেল্প ডেস্ক করি, যেন সহজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নির্ধারিত হোটেলে যাবেন। সেখানেও একটা হেল্প ডেস্ক করে থাকি, সেখান থেকে তারা যেন নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য সাংবাদিকরা নিতে পারেন। সভায় তারা কোন হোটেল থাকবেন, তা চূড়ান্ত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। হঠাৎ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।’এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক নিজেদের খরচে আসবেন তারা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আর ইসির আমন্ত্রিতরা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিজ খরচে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা ৭ ডিসেম্বরের পর এবং আমন্ত্রিত অতিথি কতজন আসছেন তা ১৬ ডিসেম্বরের পর জানা যাবে।তিনি জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক আবেদন করেছেন। আর ৩৮টি দেশ ও চারটি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি।জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কত জন আসবেন, কোন ক্যাটাগরির আসবেন, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেমন— অতিথি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলে একরকম, আর সচিব হলে আরেক রকম হবে, আবার নির্বাচন কমিশনার হলে নিরাপত্তা একরকম হবে। কাজেই কারা আসবেন, তা না জানা পর্যন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে তাদের নিরাপত্তাসহ সব ব্যবস্থাই সুন্দরভাবে করা হবে।’তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে নীতিমালা অনুযায়ী যাদের অনাপত্তি থাকবে, তাদের অনুমোদন দেবে ইসি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c16c5fc372, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন করছেন নকুল কুমার বিশ্বাস ডলি সায়ন্তনী ও শাকিল খান," সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে অনেকেই মনোনয়ন ফরম তুললেও এবার নতুন করে শুধু চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে ঢাকা-১০ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ থেকে অনেকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে চিত্রনায়ক শাকিল খান বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে নির্বাচন করবেন। অভিনেতার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগ্নে শাহরিয়ার নাজিম। জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী নির্বাচন করবেন এমন খবর আগে না জানা গেলেও হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়েছেন এ শিল্পী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার জন্মস্থান পাবনা-২ থেকে অংশ নেবেন তিনি। তিনি রাজধানীর গুলশানে ‘বিএনএম’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন ফরমও। ডলি সায়ন্তী বলেন, ‘এ দলটি থেকে আমাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়। এর পর চিন্তা করলাম, প্রস্তাবটি মন্দ নয়। আমি যদিও এর আগে কখনই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে কাজ করিনি। রাজনীতির মাঠে আমি একেবারেই নতুন মুখ। আমি আশা করছি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আমি জয়ী হব। আমার এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করব।’এদিকে গতকাল বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সঙ্গীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস। তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ভোট করবেন।উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফারিহা তানজিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শতাধিক সমর্থকরা। এরপর তিনি উজিরপুর উপজেলা ও পৌর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দোয়া প্রার্থনা করেন। নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সারাজীবন গানে গানে দেশের মানুষের পাশে ছিলাম। নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করতে চাই।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c16663183, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সিলেটে পৌঁছালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তাকে দেওয়াপররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘দলের সভাপতি জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে আবারও মনোনীত করেছেন। আমি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই, যাতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সিলেট তথা দেশবাসীর সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে পারি।’ড. মোমেন বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।এসময় অভ্যর্থনা জানাতে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1717d7ff1, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, আসন্ন নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে থাকবে মানুষ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী," আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে, শান্তির পক্ষে থাকবে, থাকবে সমৃদ্ধির পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম। গতকাল দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্ত্রব্য করেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া আইন সঙ্গতভাবে শুরু হয়ে গেছে। রিটার্নিং অফিসার আমাদের যখনই প্রচারের সুযোগ করে দেবেন তখনই আমরা প্রচার শুরু করব। আজ আমরা কোনো নির্বাচনী প্রচারে আসিনি। কেবল শুকরিয়া আদায় করা এবং বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসেছি।পিরোজপুরে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ইন্দুরকানি উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।এর আগে সকালে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c151087ee, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, প্রয়োজনে নির্বাচনের সময়সীমা হেরফের করা হবে: ইসি আলমগীর," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।সেই সঙ্গে নিবন্ধিত ৪৪টি দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময়সীমা হেরফের করা হবে। তারপরও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন।নির্বাচনে সব প্রস্তুতি আছে উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন, তার তালিকাও পেয়েছি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমাদের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে।’নির্বাচনের দিনে সেনাবাহিনী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী। এ ছাড়া জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেয়।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1523e53e, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে..."," নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘পূর্বের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।’আজ মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রির্টানিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিমিয় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপাকালে তিনি এ কথা বলেন।ইসি আলমগীর বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশী কোন কোন দেশ থেকে কারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবেন, তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশন হাতে পেয়েছে। বিদেশীরা নির্বাচন দেখতে আসবে না, এমন কথা কেউ এখনো বলেননি।’নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। এমনকি রির্টানিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় যারা রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী রয়েছে তাদের সঙ্গে মতবিনিমিয় হচ্ছে। যাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে।’বিএনপি যদি নির্বাচন না আসে সে ক্ষেত্রে বর্হিঃবিশ্বের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে কমিশনার আরও বলেন, ‘নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত অন্য একজনকে চাপিয়ে দিতে পারে না। বাস্তবতার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, একটি নির্বাচনে সব ধরনের রাজনৈতিক দল অংশ নেয় না।’‘নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে আহ্বান করা হচ্ছে। এখনো বলা হচ্ছে। শুধু বিএনপিকে একাই নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান করেছে কমিশন। বিএনপিকে এখনো আহ্বান করা হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নিতে’, যোগ করেন ইসি আলমগীর।এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বিজিবির মেজর আবরার, র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহতাসিম রসুলসহ পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c14f5867e, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩," ‘হারের জন্য নয়, জেতার জন্যই নির্বাচন করব’"," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনা করেনি। এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এই চিত্রনায়িকা। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের প্রার্থী হতে গতকাল সোমবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা। মনোনয়নপত্র তোলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই।তার ভাষ্য, ‘আমরা যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (আমার নেত্রী) দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এই নির্বাচন যেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে যাতে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। যারা নির্বাচন করতে চায় (অর্থাৎ অন্যান্য দল-মত যারা ভেতরে পোষণ করে), তাদেরকে আমরা যেন উৎসাহ দিই, তারা যাতে অংশগ্রহণ করে- সেটা যেন আমরা নিশ্চিত করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা আসার পরে আমার এলাকা তথা রাজশাহী-১-এর অনেক মানুষ আছেন, যারা আমাকে ফোন করছেন। বলছেন- “আপনি আসেন। আপনি ইলেকশন করেন।” এবং অনেক তরুণরা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য মূলত এবং আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এই নির্বাচনে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র ইলেকশন করব।’যারা নির্বাচন করবেন না বলে ভেবেছেন, তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘আমি তো নিশ্চয় হারার জন্য ইলেকশন করব না, আমি আমার পক্ষ থেকে জেতার চেষ্টা করব। তো আপনারা যারা নির্বাচন করার জন্য ভেবেছিলেন, কিন্তু করবেন না; তারা কেন ঘরে বসে থাকবেন? আপনারাও চলে আসেন। আমরা সবাই মিলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনটা করি। ইনশাল্লাহ, আপনার যদি যোগ্যতা থেকে থাকে, আপনি যদি মানুষের জন্য কিছু করে থাকেন- তাহলে অবশ্যই আপনিও জিতে বের হয়ে আসতে পারবেন।’গতকাল রাতে শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন মাহিয়া মাহি। এ সময় তিনি তার এলাকাবাসীদেরও একপ্রকার নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে রেখেছেন। বলেন, ‘আমরা তো আসলে কম খাই, কম খেতে পছন্দ করি- যদি কেউ সম্মান করে। সম্মানটাকে অনেক গুরুত্ব দিই আমরা। কথা দিচ্ছি, যদি নির্বাচিত হই- আমার এলাকার মানুষকে সম্মানিত করব। শিক্ষক তার সম্মান পাবে। কৃষক সম্মান পাবে। প্রত্যেকটা মানুষ সম্মান নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করবে, কাউকে ভয় পেয়ে না। এলাকার মানুষের জন্য আমি মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। এখন মানুষ যদি চান, তারা আমাকে ভোট দেবেন।’নির্বাচনে কোনো প্রকার নাশকতার চেষ্টা করা হলে, তাদের উদ্দেশে এই নায়িকা বলেন, ‘যারা আপনারা ইলেকশনে অংশগ্রহণ করবেন না, কিন্তু চিন্তা করে রেখেছেন ওই দিন সবাইকে ভয় দেখাব যাতে ভোট দিতে না আসে অথবা একটা নাশকতার চেষ্টা করবেন। তাদের কিন্তু আমি সাবধান হতে বলছি।’উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।এদিকে, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1489d8e3, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩," বিএনএম-এ যোগ দিলেন ডলি সায়ন্তনী, করবেন নির্বাচন"," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল বিএনএম (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন)-তে যোগ দিলেন জনপ্রিয় গায়িকা ডলি সায়ন্তনী। নির্বাচনে অংশ নিতে দলটি থেকে ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এই তিনি।গেল রবিবার বিএনএম থেকে পাবনার একটি আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র নেন ডলি সায়ন্তনী। পরদিন বিকেলে গুলশানে বিএনএম’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগদান করেন তিনি।ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনটি আমার দাদার বাড়ি। আমি এতদিন শিল্পী হিসেবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এবার নিজ এলাকার জন্য কিছু করতে চাই। আর এবারই আমি প্রথম রাজনৈতিক কোনো দলে যোগ দিলাম।’বিএনএম’র মহাসচিব ও মুখপাত্র ড. মো. শাহ্জাহান দলটির পক্ষ থেকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে পরপর দুইবারের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এস এম শাফি মাহমুদ, ডলি সায়ন্তনী, অন্তর শোবিজের স্বপন চৌধুরী, চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ ১০ জন যোগ দিয়েছেন বিএনএম-এ।তিনি আরও জানান, আসন্ন এ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ পর্যন্ত ৪৬৬টি দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছে তারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c123fe4448, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি এলে তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে -নির্বাচন কমিশনার আলমগীর," নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, কোনো দলীয় প্রার্থীকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না। সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন। বিএনপি নির্বাচনে আসলে সংবিধান অনুযায়ী নতুন করে তফসিল ও নির্বাচন পেছানোর সুযোগ আছে।সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার নির্বাচনসংশিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাব কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার অসিরা উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। কেউ অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, প্রতিটি কার্ডের নিচে আপনাদের জন্য নিয়মাবলি রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের সহযোগিতা জরুরি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c11ff6bb53, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে," নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির দুই পার্বত্য জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গতকাল রাঙামাটিতে মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য এলাকা বিশেষ অঞ্চল হিসেবে আগে থেকেই এখানে সেনা মোতায়েন রয়েছে। তাই এখানে নতুন করে সেনা মোতায়েন করা লাগবে না। নির্বাচনে বিদেশি কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই পর্যন্ত ৫০টির বেশি দেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন জমা দিয়েছে। আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে সময় বাড়ানোর সুযোগ আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ করার জন্য যা যা করণীয় সংশ্লিষ্টদের, সেই নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন বলেও সতর্ক করেন তিনি। এ সময় আরও ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, বিজিবি রাঙামাটির সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান প্রমুখ। ষ রাঙামাটি সংবাদদাতা",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c11fd007f6, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করতে চান মাহি," চিত্রনায়িকা মাহি বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুলেছিলাম দুটি আসনের। তবে দল আমাকে বিবেচনা করতে পারেনি। এ জন্য অবশ্য আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। যারা বছরের পর বছর রাজনীতি করছেন, তারাও মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য। দল যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে আমার কোনো খারাপ লাগার বিষয় নেই। আমি স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচনে যাচ্ছি। গতকাল তার ফেসবুই পেজে এসব কথা লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মাহি আরওলেখেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করাটা আমারও দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি, যাতে বিশ^বাসী দেখে। আশা করছি, এলাকার ভোটাররা আমার সাথে থাকবেন।’রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, মাহি নিজে মনোনয়ন ফরম তুলতে আসেননি। তার পক্ষে একজন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন।মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তার নানার বাড়ি পাশর্^বর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনের মধ্যে যে কোনো একটিতে তিনি নির্বাচন করতে কিছুদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী-১ আসনেই প্রার্থী হতে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। মাহি জানিয়েছেন, এই একটি আসন থেকেই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। চিত্রনায়িকা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।উল্লেখ্য, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c123fe6147, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত - ইসি রাশেদা," শেষ মুহূর্তে হলেও বিএনপির নির্বাচনে আশা উচিত। বাংলাদেশের ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩৪টি দল চলতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তার পরও যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় সাংবিধানিক সকল সূযোগ তাদের প্রদান করা হবে। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা গতকাল বগুড়ার বিয়াম মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের চার জেলার নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, কমিশন তথা আমরা চাই নিবন্ধন পাওয়া সকল দল নির্বাচনে অংশ নিক। আমরা সকলকে, বিশেষ করে যারা আসতে চাইছে না তাদেরকেও নির্বাচনে আসার আহ্বান করছি। তিনি বলেন, তবে বিএনপি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিলেও ভোট সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি সংবিধানের বিধান। কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। কারণ এটি করতে গেলে ৪২ লাখ কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c14737826, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন চিত্রনায়ক শাকিল খান," বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অবশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন চিত্র নায়ক শাকিল খান (শাকিল আহসান)।গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগ্নে শাহরিয়ার নাজিম। জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ সময় রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব সরদার, প্যানেল চেয়ারম্যান চম্পক কুন্ডু, বাসতলি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মল্লিক মহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন ।শাকিল খানের বোনের ছেলে শাহরিয়ার নাজিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। রামপাল মোংলা বাসীর দাবির প্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক শাকিল খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। আমরা শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।এরআগে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন শাকিল খানসহ ১১ জন।এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বর্তমান উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c10a9c117, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩, ২ আসনে নির্বাচন করবেন জি এম কাদের, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৯ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।ঢাকা-১৮ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি শেরিফা কাদের।,Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d37a5efc92, আমাদের সময়,২৪ জানুয়ারি ২০২৪, উপজেলা নির্বাচন শুরু এপ্রিলে : ইসি আলমগীর," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তফসিল ঘোষণা হবে ঈদুল ফিতরের আগে। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।ইসি আলমগীর বলেন, ‘সামনে এসএসসি পরীক্ষা, এরপর রমজান। ঈদের পরপরই যাতে নির্বাচন হয়, সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব।’ ইসি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিংমেশিনে (ইভিএম) হতে পারে, ব্যালটেও হতে পারে। আবার ব্যালট ও ইভিএমের সমন্বয় থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ইভিএম কী পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য, সে হিসাব এখনো পাইনি। এটা পেলে হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তফসিল ঘোষণা হতে পারে ঈদের কিছু দিন আগে। নির্বাচনী প্রচার ঈদের পরে।’দলীয় প্রতীকে ভোট প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সে ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই; সমস্যাও নেই।’আগে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীদের ২৫০ জনের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে- এমন আইন রয়েছে স্মরণ করিয়ে ইসি বলেন, ‘স্বতন্ত্র হিসেবে যদি উপজেলা পরিষদে ভোট করতে চান, চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে, তারা যদি এরই মধ্যে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে না থাকেন, তাহলে তাকে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থন রয়েছে, এ মর্মে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আগে নির্বাচিত হয়ে থাকলে লাগবে না।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d367d2d00, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪," নওয়াজ শরীফের নির্বাচনী প্রচারে আনা হলো বাঘ-সিংহ, এরপর…"," পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নির্বাচনী প্রচারে আনা হয়েছিল বাঘ ও সিংহ। মিছিলে জীবন্ত প্রাণী দেখার সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পরে প্রচারণা থেকে খাঁচায় বন্দী প্রাণী দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার শুরু করেছেন নওয়াজ। তারই অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রধান নেতাকে স্বাগত জানাতে সমাবেশস্থলে আনা হয় বাঘ ও সিংহ।মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা খাচায় বন্দী বাঘ ও সিংহের সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে নওয়াজ শরীফের বিষয়টি পছন্দ হয়নি। বন্যপ্রাণী খাঁচায় এভাবে বন্দী রেখে সমাবেশে আনার পক্ষে নন তিনি। পরবর্তীতে তার নির্দেশে প্রাণী দুটোকে ফেরত পাঠানো হয়।এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় এ তথ্য জানান নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে কোনো মিছিলে জীবন্ত সিংহ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী আনা উচিত নয়।’এর আগে গতকাল সোমবার এক জনসভায় নওয়াজ শরীফ বলেন, পাকিস্তানকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে গেলে অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। তিনিই এই কাজ করতে পারেন।নওয়াজের দাবি, ‘যদি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে রায় না দিত, তাহলে দেশের এই অবস্থা হত না। আমি এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারব। আমি ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণহীন জায়গায় পৌঁছে গেছে।’নওয়াজ বলেন, ‘আমি এখানে নির্বাচনে লড়তে এসেছি। আপনাদের ভোট ভিক্ষা করতে এসেছি। দেশের সমৃদ্ধি চাইলে আমাকে ভোট দিন।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c10490ac2, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে: ইসি আনিছুর," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।আজ সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান।আনিছুর রহমান বলেন, ‌‘রাঙামাটি একটি বিশেষ অঞ্চল হিসেবে এখানে আগে থেকেই সেনাবাহিনী রয়েছে। তাই পার্বত্যাঞ্চলের জন্য বিশেষ কৌশলগত কোনো দিক আমাদের বিবেচনা করতে হবে না। তবে সমগ্র দেশের জন্য অতীতের সকল জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে।’পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে বলা আছে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রেরও যাতে অবৈধ ব্যবহার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।’রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, খাগড়াছড়ির রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আবু নেছার উদ্দীন আহমেদ, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেনসহ রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d32593de510, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ৯ মার্চ কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন," কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ। উভয় সিটিতে সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান। ময়মনসিংহ সিটিতে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোটগ্রহণ হবে।অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক ওরফে রিফাত (৬৬) গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়।ইসি আনিছুর রহমান জানান, ময়মনসিংহ সিটির সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। একই দিনে বেশ কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এ ছাড়াউপজেলা, জেলা পরিষদ উপনির্বাচন হবে। এর বাইরেও মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া কিছু ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচন হবে। এ সবগুলো নির্বাচন একই দিনে অর্থাৎ ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। দ্রুতই এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করা হবে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d328d646e2, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪, নির্বাচন তাহলে একটি গল্পের অনুলিখন," ব্যবস্থাপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হলো পরিকল্পনা। এটি ব্যবস্থাপনার অন্য কাজের ভিত্তি। ভবিষ্যতে আমরা কী চাই, কখন ও কীভাবে চাই ইত্যাদি বিষয় আগেই নির্ধারণ করাকেই পরিকল্পনা বলে। রাজনীতিতে এটি আরও সুদূরপ্রসারী ও নিখুঁত হওয়া চাই। চিন্তায় ভুল হলে পরিকল্পনায় যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, ঠিক একইভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হলে বাস্তবায়নমূলক কাজেও সফলতা আসে না। কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ সম্ভব হয় না। প্রতিটি কাজের আগেই ভেবে-চিন্তে পরিকল্পনা গ্রহণ আবশ্যক। পরিকল্পনার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিকল্পনা নিতে গেলে বিকল্প নির্ধারণ, মূল্যায়ন ও উত্তম বিকল্প গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। এই উত্তম বিকল্প গ্রহণের কাজকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে। রাজনীতিতে এটি খুবই মূল্যবান। রাজনীতির সঙ্গে দেশ ও জাতির ভাগ্য জড়িত। পুনঃ পুনঃ ভুল রাজনীতিকে যেমন জটিল করে তোলে, তেমনি ব্যাপকভাবে তার খেসারত দিতে হয় দেশ ও জনগণ আর দলীয় কর্মী-সমর্থককে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিত তার উদাহরণ। রাজনীতির জটিল অঙ্ক নেতৃত্বের দুর্বলতায় শুধু জটিলতরই হয় না, একেবারে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নেতা ও নেতৃত্বের তাই চিন্তা এবং সিদ্ধান্তের সুসমন্বয় অত্যাবশ্যক।বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচার্য। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচিতে অভিজ্ঞতার প্রতিফলন যেমন অগ্রাহ্য হয়েছে, তেমনি সুচিন্তা ছিল বর্জিত। গতানুগতিকতা ছিল প্রবহধারা। ছিল চিন্তার দৈন্য। ছোটবেলায় পড়া একটি গল্পে তার উদাহরণ মেলে।কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল। কিসের চাষ করবে? আলুর। আলু হয় মাটির নিচে। গাছ থাকে মাটির উপরে, তা দিয়ে কোনো কাজ হয় না। কুমির সে কথা জানত না। সে ভাবল, বুঝি আলু তার গাছের ফল। কুমির তাই বলল, ‘গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, গোড়ার দিক তোমার।’ শুনে শিয়াল হেসে বলল, ‘আচ্ছা তাই হবে।’তারপর আলু হলো, কুমির তখন সব গাছের আগা কেটে বাড়িতে নিয়ে এলো। শিয়াল মাটি খুঁড়ে সব আলু নিয়ে গেল। কুমিরের মূল্যায়ন ছিল ভুল।পরের বার হলো ধান চাষ। এবার কুমির আগে থাকতেই শিয়ালকে বলল, ‘ভাই, এবার কিন্তু আগার দিক নেব না, আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।’ শিয়াল হেসে বলল, ‘আচ্ছা, তাই হবে!’তারপর ধান হলো, শিয়াল ধানসুদ্ধ গাছের আগা কেটে নিয়ে গেল। কুমির খড়গুলো পেল। পরের বার আখের চাষ।কুমির তো আগেই বলেছে, আগা না নিয়ে ছাড়বে না। কাজেই শিয়াল আগাগুলো দিয়ে আখগুলো নিয়ে ঘরে বসে মজা করে খেতে লাগল।গত তিনটি নির্বাচনের প্রেক্ষিত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এ গল্পই অনূদিত হয়েছে। ২০১৪ সালে আলোচনা না করেই বর্জন করা হয়েছে নির্বাচন। নির্বাচন শেষে মূল্যায়ন হলো- পরিকল্পনায় ভুল ছিল। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনা হলেও সেখানে সার্বিক ব্যবস্থাপনা নির্বাচনমুখী মানসিকতার ব্যাপক ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর দলগুলোর মূল্যায়ন তুলে ধরা যাক- গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ৯ জানুয়ারি দলগুলো মূল্যায়নসভায় বসে। মূল্যায়নের মূলভাব ছিল : সরকার পতনের আন্দোলনের পরিকল্পনায় ভুল এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থতা ছিল। এই দুই ভুলের কারণে আন্দোলনে সফলতা আসেনি। এর আগেও ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনোত্তর মূল্যায়ন নোটও ছিল অনুরূপ। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, নেতৃত্বের এ ব্যর্থতার দায় কার? দেশ ও মানুষের ভোগান্তির সমাধান কি শুধুই দুই কারণের মূল্যায়ন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d28043eba1, আমাদের সময়,২১ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ নির্বাচন ও ভবিষ্যতের রাজনীতি," ৭ জানুয়ারি ২০২৪-এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বহু নাটকীয়তা আর তর্ক-বিতর্ক, বিদেশের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর হুমকি-ধমকির মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যত রকমের বাধাবিপত্তি থাকুক না কেন অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে যত বিরোধিতাই হোক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে নির্বাচন প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। যেমন সম্ভব হয়নি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অন্যান্য বড় দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন ঠেকানো যায়নি। মাত্র ২১% ভোটার ভোট দিয়েছিল। যদিও অল্প কয়েকটি দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সংসদে কথিত দুটি দলই ছিল। এর পরে ২০১৪ সালেও বৃহত্তর বিরোধী দলগুলো বিরোধিতা করলেও নির্বাচন ঠেকানো যায়নি।নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ৭ জানুয়ারি ২০২৪। যদিও বৃহৎ ও ক্ষুদ্র দলগুলো প্রায় ৪ বছর ক্রমান্বয়ে জোরালো আন্দোলন করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি বরং বৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছে এবং অন্যদিকে হাজার হাজার কর্মী পলাতক রয়েছে। সরকারি ও তাদের কথিত অনুযোগীরা এক প্রকার নির্বিঘ্নে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে সরকার গঠন করে ফেলেছে। তবে এবার শুধু পার্শ্ববর্তী দেশের আকাক্সক্ষাই নয় বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি-ধমকিও ছিল প্রাণিধানযোগ্য। অনেক ধরনের শঙ্কা সত্ত্বেও পরিপূর্ণ রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। একটানা ১৫ বছর কাটিয়ে ২০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। যেহেতু বিশ্বের তিনটি বৃহৎ শক্তি প্রথম হতেই এই সরকারের বিগত দুই নির্বাচন- ২০১৪ ও ২০১৮ কে সর্বতো ত্বরিত স্বীকৃতিতে দেরি করেনি এবারও অনেক সমস্যাসংকুল নির্বাচন হলেও পূর্বতন ধারা বজায় রেখেছে।এবারের নির্বাচন ২০১৪, যাকে ভোটারবিহীন নির্বাচন বলা হয় কারণ ৩০০ আসনের ১৫৩টি আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। বিশে^র গবেষকরা এই নির্বাচনকে ব্যর্থ আখ্যায়িত করলেও সরকার পূর্ণ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করেছে। ওই নির্বাচন বিরোধীরা কথিত সহিংস আন্দোলনের মধ্য প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেনি। অবশ্য ওই নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি তা এখন সরেজমিনে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। ওই নির্বাচন হয়েছে দিনে-রাতের মিশ্রণে যা এখন সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মুখেও চর্চিত। অবশ্য এবারের নির্বাচন ও প্রধান বিরোধী দল এবং সমমনা দল বিবর্জিত তাই এবার নির্বাচনের ভিন্ন আঙ্গিক প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। এবারের নির্বাচনের ধরন (মডেল) আগের দুটির ধারেকাছেও নেই। প্রচুর নতুনত্বের মধ্যে বাংলাদেশে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, যা মোটামুটি একদলীয়ই বলা যায়।এবার বিরোধী দলসহ বহু দল, বলতে গেলে ২৬টির কাছাকাছি নিবন্ধিত এবং প্রায় সমসংখ্যক অনিবন্ধিত নতুন অথচ ইতোমধ্যেই বেশ পরিচিত হয়ে ওঠা দলগুলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বৃহত্তর বিরোধীদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়েছিল। তথাপি সরকার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন বন্ধ, পেছানো অথবা বিরোধী দলকে ন্যূনতম ছাড় না দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বলতেই হবে অনেকটা নির্বিঘ্নে, ২০১৪ সালের মতো তেমন পরিস্থিতি হয়নি।অবশ্য এবারের নির্বাচন, নির্বাচনপরবর্তী পরিবেশ এবং এ নির্বাচনের মডেলের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কিছু বিষয় আলোচনার দাবি রাখে। প্রথমত এই নির্বাচনটি বলা যেতে পারে একপাক্ষিক, যদিও কাগজে-কলমে ২৮টি নিবিন্ধত দল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি দৃশ্যত ফরমায়েশি দলও রয়েছে, অংশগ্রহণ করে। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিই প্রধান। যদিও জাতীয় পার্টিও প্রায় বিলুপ্তির পথে, আর কোনো দলকে ধর্তব্যের মধ্যে নেওয়া যায়নি। আর ছোট তিনটি দল যেগুলো এত দিন চর্চার মধ্যে ছিল সেগুলোও হয়তো বিলুপ্তির আবর্তে পড়েছে। এর মধ্যে সাম্যবাদী দল, বহু বছর ধরেই মাঠে নেই এবং ওয়ার্কার্স পার্টি যদিও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তাদের প্রতীক নিয়ে নিভু নিভু অবস্থায় ছিল। এবারের নির্বাচনে তার অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। সরকারি দলের প্রতীক নিয়েও বিলুপ্তির পথে তেমনি। বহুল চর্চিত জাসদ এবং এর প্রধান প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ভরাডুবির পর অস্তিত্ব সংকটে। আগামীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খুঁজেও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। একমাত্র জাতীয় পার্টি, হাবুডুবু খাবার পথে, ছাড়া এবার অংশগ্রহণকারী আর কোনো পুরাতন দলের অস্তিত্ব নেই যদিও বিগত পনেরো বছর বিরোধী জোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী কল্যাণ পার্টিপ্রধানের উপস্থিতি। এই নির্বাচন বোধকরি একটি বৈচিত্র্যময় বহুদলীয় ব্যবস্থায় একটি নির্বাচন, অনেকটাই একদলীয় আদলে নির্বাচন, কারণ যেসব সাক্ষীগোপালের মতো পার্টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের সাকল্যে প্রদত্ত ভোটের এক শতাংশ পেয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। হয়তো পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান বের হলে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। তবে অতীতেও, বিশেষ করে ২০১৮র নির্বাচনেও এরূপ চিত্র পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে, যাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বলা যায়, সেখানে ৩৯ দল অংশগ্রহণ করলেও তিনটি দল ৫ শতাংশের উপরে, দুটি ২ শতাংশের নিচে এবং বাকি দলগুলো ১ শতাংশের নিচে ভোট পেয়েছিল। সেসব দলকে জনগণ মনে রেখেছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।২০২৪ সালে বহু বাদ-বিবাদের মধ্যের নির্বাচনের পদ্ধতি ভিন্নতর হলেও দলীয় হিসাব প্রায় একই প্রকার। এবার সরকারি দল ২০১৪-এর অভিজ্ঞতা ঠেকাতে দলীয় নির্ধারিত প্রার্থীর বাইরে দলের বিধিনিষেধ শিথিল করে অংশগ্রহণ উন্মুক্ত করে স্বতন্ত্র এবং কথিত ডামি (যার বাংলা প্রতিরূপ নকল) হিসেবে। সাথে সামান্য পরিচিত ও অপরিচিত কথিত ২৬টি দল (আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাদে)। মোট প্রার্থী ছিল ১৯৬৯। এই সংখ্যাটিকে দেখানো হয়েছিল অংশগ্রহণমূলক চিত্র তুলে ধরতে। এর মধ্যে প্রায় ১২৫ জন জাতীয় পার্টি, যারা সরকারি দলের আশ্বস্ত ২৬টি আসনের বাইরে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ায়। এ সংখ্যাসহ ১৪৪১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা মনে হয় এ যাবৎ একটি রেকর্ড। এর মানে ৭৩ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মোতাবেক ২৮টি দলের মধ্যে ২১টি দলের সব প্রার্থীই জামানত হারিয়েছে। এটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড।এরই প্রেক্ষিতে একক দলের নির্বাচন, অন্তত ফলাফলে তাই বলে, হিসাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। প্রাপ্ত ফলাফলে সরকারি দল আওয়ামী লীগ দলের প্রতীকপ্রাপ্ত, বলা যায় দলীয় প্রার্থীদের আসনের মধ্যে ২২৫টি আসন এবং একই দলের কথিত স্বতন্ত্র এবং ডামি প্রার্থীদের ৬১, জাতীয় পার্টি, যদিও ২৬টি আসন সরকারি দল দিয়েছিল, পেয়েছে ১১টি এবং কল্যাণ পার্টি ১টি বাকি দুটি সিটের নির্বাচন স্থগিত। পরে অনুষ্ঠিত হবে।উপরের তথ্য হতে পরিষ্কার যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনটি দল, যদি না কল্যাণ পার্টির এক প্রার্থী কোনো দলে যোগ না দেয়, দেখা যাবে তারা সবাই সরকারি দলের অনুকম্পাধীন। বাদবাকি স্বতন্ত্র ৬১ প্রার্থীর প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি দলের সদস্য, যদি না তাদের সদস্যপদ কোনো পর্যায়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী বাতিল না হয়। যদিও সম্ভাবনা কম, সেক্ষেত্রে এদের আর দুটি দলের কোনো একটিতে যুক্ত হতে হবে আথবা অভিভাবকহীন স্বতন্ত্র থাকতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কথিত স্বতন্ত্রদের কেউই দলের বাইরে যেতে চাইবে না। কারণ এমন সদস্যদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির যে মৃত্যু হয় তার অঢেল দৃষ্টান্ত রয়েছে।এ বিশ্লেষণের পর যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে সেটা হলো অন্তত একটি আদল দেওয়ার জন্য ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল কারা হবে? তবে একটা অভিনব বিরোধী দল দেখা যাবে মনে হয়। যদি জাতীয় পার্টি ১১ জন সদস্য নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, প্রায়োগিক প্রচলন যাই থাকুক, তা হলে বাকি ৬১+১এর ভূমিকা কী হবে? হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর কয়েক দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। তবে এবারের সংসদ একটি ব্যতিক্রমধর্মী হতে যাচ্ছে।এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বেই বলেছিলাম যে, শুধু ভোটার দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। গণতান্ত্রিক বিশ্বে তেমনই হয়েছে। ভোটের শতাংশ নিয়েও যথেষ্ট বির্তক রয়েছে, ২৮ না ৪২% শতাংশ- এই বিতর্কের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ যাবৎকালের সবচাইতে কম ভোটারের উপস্থিতির কথা বলছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও এমনই নথিভুক্ত হয়েছে।এ নির্বাচনের পরবর্তী জের বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক প্রশ্ন রেখে যাবে। আওয়ামী লীগের মতো বড় ও প্রাচীন দলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর যে বিভক্তি দেখা গিয়েছে দলের মধ্যে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। জাতীয় পার্টি, যাকে তৃতীয় বৃহত্তর পার্টি হিসেবে গণ্য করা হতো, অস্তিত্ব বিলীনের পথে দলের মধ্যে বিভক্তি আসন্ন। যেমনটা সত্তরের দশকে জাসদ-এর হয়েছিল। আগামীতে জাতীয় পার্টি ধর্তব্যের মধ্যে থাকবে বলে মনে হয় না।অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবারও নির্বাচনে না আসবার সিদ্ধান্ত, অবশ্য ২৮ অক্টোবরে সন্ত্রাসী ঘটনা না হলে গতিপ্রকৃতি কী হতো তা ধোঁয়াশাই রইল, সত্ত্বেও বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়েনি। অপরদিকে বিগত বছরগুলোতে ইসলামিক আন্দোলন, যারাও নির্বাচনে বাইরে রয়েছে। যথেষ্ট রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয় করেছে। বাড়িয়েছে নিজেদের ভোটব্যাংক। এবারই প্রথম বাংলাদেশের প্রাচীন বাম দলগুলো এই নির্বাচনের বাইরে থেকেছে। তার সাথে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন দল নিজেদের জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকটি পুরাতন দল যেমন এলডিপি ও জাসদ-এর একাংশ বাইরে রয়েছে। কাজেই আগামী সময়ে সরকারবিরোধীরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন কতখানি সরগরম রাখবে তা দেখবার বিষয় হবে।এ নির্বাচনের আরেকটি ফল মনে করা হয় যে অনেক পরিচিত নেতার, সরকারি দলসহ এমন নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের শেষ অধ্যায় হতে পারে।যাই হোক, বিশ্লেষণটি সংক্ষিপ্ত। তবে দেশের এই নির্বাচনসহ বাকি দুটো নির্বাচন ২০১৪-২০১৮তে গবেষণার প্রচুর তথ্যউপাত্ত পাওয়া যাবে।সরকারের সামনে অর্থনৈতিক, সুশাসন, ব্যাপক দুর্নীতি ও ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সাথে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হবে জটিলতম বিষয়।ড. এম সাখাওয়াত হোসেন : সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c1a747a8c , আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন," জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন বলে দাবি করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা-৪ আসনের জাপা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এ দাবি করেন তিনি।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও ক্লিন, ফেয়ার নির্বাচন হবে বলে আশা করছি। আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব। প্রার্থী আওয়ামী লীগও দিয়েছে, জাতীয় পার্টিও দিয়েছে। আমি আশাবাদী এবারও জিতব। তারপরও রাজনীতিতে শেষ কথা নেই। রাজনীতির মেরুকরণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে আরও কিছু হতে পারে।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপার এ নেতা বলেন, ‘আজকের মধ্যে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আমি যতটুকু জানি, রওশন এরশাদ অবশ্যই আসছেন এবং নির্বাচন করবেন।’গত সোমবার জাপার ২৮৯ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তখন রওশন এরশাদের জন্য ময়মনসিংহ-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফাঁকা রাখা হয়। রওশন এরশাদের মনোনয়নের বিষয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি আমাকে একাধিকবার ফোন করেছেন। প্রথমে দুটি ফরমের কথা বলেছেন, পরে তিনটি ফরমের কথা বলেছেন। আমার চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, ‘‘উনি তিনটি ফরমের কথা বলেছেন, তিনি এলে তিনটা ফরমই দিও’’।’চুন্নু বলেন, ‘আমি বলেছি, আপনি (রওশন) যদি লোক পাঠান বা আপনি যদি হুকুম করে নির্দেশ দেন আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসব আপনাকে। তিনি আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন নাই, কোনো লোকও পাঠান নাই।’জাপার আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই কী রওশন এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার (রওশন এরশাদ) মান-অভিমানের বিষয় আছে কি-না সেটা আমরা জানি না। তার সঙ্গে আমাদের মান-অভিমানের সুযোগ নেই।’ঘোষিত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসনে জাপা থেকে মনোয়নয়ন পেয়েছেন দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের। রংপুর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রওশনপুত্র সাদ এর‌শাদ। এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। জাপার রওশন বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত দলের বহিষ্কৃত মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। রংপুর-১ আসনে রাঙ্গার পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা এইচ এম শাহরিয়ার আসিফকে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c0cbea0621, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব," জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, ১৪ দল জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে চিঠিদিয়ে জানিয়েছেন, ১৪ দল জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচন করবে। এ ছাড়াও ওই চিঠিতে বলা আছে, প্রয়োজন হলে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা শরিক দলের প্রার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব।ইনু গতকাল দুপুর ২টার সময় ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুণ্ডর কাছে কুষ্টিয়া-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন আফরোজা হক রিনা এমপি, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আবদুল আলিম স্বপন, ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এসএম আনছার আলী, পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুল প্রমুখ। ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c0cbea0c92, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩, আগামী নির্বাচন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে," নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন এমনভাবে করা হবে; যা সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’ রবিবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, অতীতকে পরিবর্তন করতে কেউ পারবেন না। কিন্তু আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন নির্বাচন করব, যা ভবিষ্যতে অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয় হয়ে থাকে। তাই কোনো পক্ষপাতিত্ব নয়, কোনো পার্টিবাজি নয়, আগামী নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করবেন এবং এ ব্যাপারে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।আহসান হাবিব আরও বলেন, আমি এখনো মনে-প্রাণে চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, উৎসবমুখর হোক আগামী নির্বাচন।বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c08110f172, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ," ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে ৯০ দেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) অংশ নিতে দিল্লি সফরে ছিলেন মাসুদ বিন মোমেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় ফেরেন। ঢাকা-দিল্লি এফওসি শুক্রবার বিকালে হায়দারাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনাবাসী প্রায় ৯০ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি। ব্রিফিং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়।পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার ও বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি ভূরাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্ণনা করেন। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন একটি উৎসব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করার উৎসবে অংশ নিতে বাংলাদেশের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কূটনীতিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মাসুদ বিন মোমেন। পাশাপাশি তিনি আগামী ডিসেম্বরে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় সমুদ্রবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইএমও) পরিষদের ‘সি’ শ্রেণিতে বাংলাদেশের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনুরোধ জানান।সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি, অব্যাহত স্থিতিশীলতা ও বিশ্বে বাড়তে থাকা গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশন চালু করতে নিজ নিজ সরকারকে অনুরোধ করতে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এ সময়ে কূটনীতিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করলে জবাব দেন পররাষ্ট্র সচিব।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c0b3e6147, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, যে আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন শেখ হাসিনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার বিকেল ৪টা থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও কৌশলগত কারণে সে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল না।চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় শেখ হাসিনা মনোনয়প্রত্যাশীদের বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d3a2e1eb8, আমাদের সময়,২৪ জানুয়ারি ২০২৪, কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা," কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ও ৯টি পৌরসভারসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড মিলে ২৩৩টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৯ মার্চ।জাহাংগীর আলম বলেন, এই ২৩৩টি নির্বাচনের মধ্য রিটার্নিং অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিসে মনোনয়ন বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। রিটার্নিং অফিস থেকে বাতিল হওয়া প্রার্থিতার আপিল নিষ্পতি করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ।ইসি সচিব বলেন, এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং বিভিন্ন শূন্যপদের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদের শূন্যপদের উপনির্বাচনে ব্যালট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান জাহাংগীর আলম। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018d37ae3cc45, আমাদের সময়,২৪ জানুয়ারি ২০২৪, বিজিবিএ নির্বাচন অংশ নেবে ইউনাইটেড ফোরাম," প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) নির্বাচনে অংশ নিতে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম’। এ লক্ষ্যে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ফোরামের পরিচিতি অনুষ্ঠান হয়। এতে ফোরামের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, ফোরাম থেকে প্যানেল লিডার মফিজ উল্লাহ বাবলুসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবিএর সদস্য দেশের ১ হাজার ৭০০ বায়িং হাউস। আগামী ২ মার্চ সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন হবে।মফিজ উল্লাহ বলেন, দেশের রপ্তানিকৃত পোশাকশিল্পের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ কার্যাদেশ এসব বায়িং হাউসের মাধ্যমে আসছে। ওই সব বায়িং হাউসের মালিকদের সংগঠন বিজিবিএ, যা সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বতন্ত্র ব্যাবসায়িক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং প্রথমবারের মতো ভোটের মাধ্যমে কমিটি নির্বাচন করতে যাচ্ছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c07223985, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা খেলাফত আন্দোলনের," গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। খেলাফত আন্দোলনের এ ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও একটি দল যুক্ত হলো।আজ শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের আশরাফাবাদ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শূরা সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।দলটির প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আসন বণ্টনের বিষয় এখন বলা যাচ্ছে না।খেলাফত আন্দোলনের আমীর আতাউল্লাহ হাফেজ্জীসহ দলের ২০১ জন শূরা সদস্যের অধিকাংশই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৯টি ইসলামী দলের ১৪ জন নেতা। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমীর আতাউল্লাহ হাফেজ্জীও ছিলেন।খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মনোনয়নপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা মনোনয়নপত্র থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেই না।নির্বাচন কমিশনে ৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত। এর মধ্যে ইসলামপন্থী ১১টি দলের সাতটি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। এর মধ্যে শুধু তরীকতের গত দুটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। নির্বাচনে যাচ্ছে না কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস।বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে দুইদিন আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।বিএনপি ছাড়াও জামায়াত, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন ও বাম ঘরনার দলগুলো এখনো নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে অনড় আছে।বিএনপির সমমনা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জানিয়েছে। জেএসডি নির্বাচনে যেতে পারে এমন গুঞ্জনের মধ্যে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। একই সঙ্গে দ্বাদশ সংসদের পাতানো নির্বাচন থেকে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c07a8f78512, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনকালে মাঠে থাকবেন ৬৫৩ বিচারক," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে বিচারের জন্য ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিন মাঠে থাকবেন ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম। গতকাল নির্বাচন ভবনে ইসি আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিকুইজিশন দিয়েছি। বিচারকরা ভোটের দুদিন আগে থেকে ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত কাজ করবেন। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখাÑ এসব অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন বিচারকরা। এর দণ্ডগুলো তিন থেকে সাত বছর আছে।৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে মাহবুবার রহমান বলেন, জুডিশিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা তদন্ত করে শুধু রিপোর্ট দেবেন। কমিশন যদি বলে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, তারা তিন দিনের মধ্যে সেটির রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দণ্ড দিতে পারে। এর ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন কমবে। বাড়তি কর্মকর্তা নিয়োগের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে দেখা যেত মাঠে সব সময় তাদের পাওয়া যায় না, আলাদতের কাজ শেষ করে এটার জন্য অতিরিক্ত কাজ করতেন। তাই এবার ৩০০টি টিম করা হয়েছে এবং তারা এখানেই ফুলটাইম ডিউটি করবেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c08110f172, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ," ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে ৯০ দেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) অংশ নিতে দিল্লি সফরে ছিলেন মাসুদ বিন মোমেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় ফেরেন। ঢাকা-দিল্লি এফওসি শুক্রবার বিকালে হায়দারাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনাবাসী প্রায় ৯০ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি। ব্রিফিং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়।পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার ও বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি ভূরাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্ণনা করেন। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন একটি উৎসব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করার উৎসবে অংশ নিতে বাংলাদেশের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কূটনীতিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মাসুদ বিন মোমেন। পাশাপাশি তিনি আগামী ডিসেম্বরে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় সমুদ্রবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইএমও) পরিষদের ‘সি’ শ্রেণিতে বাংলাদেশের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনুরোধ জানান।সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি, অব্যাহত স্থিতিশীলতা ও বিশ্বে বাড়তে থাকা গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশন চালু করতে নিজ নিজ সরকারকে অনুরোধ করতে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের স",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c07a8f9fc6, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, ৩০০ আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে অনিয়ম নিষ্পত্তির জন্য দেশব্যাপী ৩০০ আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবিনা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনি আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনা বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে- এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি করা হলো।প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, ৩০০ আসনের প্রতিটিতে সেই জেলার সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের দায়িত্ব দিয়ে এ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ওই কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে গাড়ি বা প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশের দুজন অস্ত্রধারী সদস্য নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ সংসদীয় আসনে আচরণবিধি প্রতিপালনে সহস্রাধিক নির্বাহী নিয়োজিত থাকবেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। নির্বাচনী অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।এর আগে গত ১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সদস্যরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান। সেই বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেকটোরালইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন। উনি বলেছেন, এটা বিবেচনায় রাখবেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয় গত ২৩ নভেম্বর বিচারকদের সমন্বয়ে একটি ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c07a8f47c3, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, এবারের নির্বাচন হবে সিলেক্টিভ," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন হাসি-তামাশা, বাণিজ্য ও প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব এখন শেখ হাসিনার দান-দক্ষিণা, খয়রাত, বিলি-বণ্টন, ভাগবাটোয়ারা,উপহার-করুণায় পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালের বিনাভোটে অটোপাসের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট ডাকাতির পর এবার আরেকটা ভাঁওতাবাজি নির্বাচন হবে। সেখানেও ওই আরেকটা সিলেকশন করা থাকবে, যেটা প্রধানমন্ত্রীর বাসায় বা তার দপ্তরে (ঠিক হবে)Ñ সেটা শুধু নির্বাচন কমিশন পাঠ করবে।গতকাল শনিবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় সিলেক্টিভ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে রাষ্ট্র্রের শত শত কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করা হবে অত্যন্ত নিখুঁত ধূর্ততায়, জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে। ইলেকশনের দিন রাতে পাঠ করা হবে গণভবনের তালিকা।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘টাকার বিনিময়ে খরিদ হওয়া এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কেউ কেউ এখনই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ তারা টাকা ও ক্ষমতার মুলার লোভে পড়ে ডিগবাজি দেওয়ার পর এখন বুঝতে পারছেন, তাদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে না। পাতানো খেলার সাজানো নির্বাচনে ‘হার হাইনেস’ যাকে চাইবেন, তারাই হবেন এমপি, তারাই হবেন ক্ষমতাশালী, অন্য কেউ না।’’রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন এলে যে আনন্দ-উৎসবের জোয়ার নামে জনপদগুলোতে, এখন তার পরিবর্তে সারা দেশে ভয়ার্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। যারা আওয়ামী লীগ করে, তারা ছাড়া গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ, বহু গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যে খুনোখুনি শুরু করেছে তারা (আওয়ামী লীগ)। নির্বাচনকে সরকার উৎসবের বদলে ভয়, আতঙ্ক ও শোকে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে নেতাদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে রাতের বাহিনী। এইভাবে জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটছে মাফিয়াচক্র। তবে তুমুল আন্দোলনে-জনজোয়ারে এই নির্বাচনী নাটক ভণ্ডুুল হয়ে যাবে।’ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই প্রতারক মাফিয়া সরকার একদিকে বলছে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করে বেছে বেছে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে দুই বছরের নিচে কারোর সাজা হচ্ছে না। কারণ দুই বছরের সাজা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতিবন্ধক। গত দেড় মাসে বিএনপির ৫৮২ জন নেতাকর্মীকে প্রহসনের বিচারে দণ্ডিত ঘোষণা করা হয়েছে।’২৪ ঘণ্টার ধরপাকড়রের চিত্র : সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী জানান, গতকাল বিকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩২৫ জন গ্রেপ্তার এবং ১৩টি মামলায় ১ হাজার ৪৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৪ হাজার ২০০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং ১৩৮টি মামলায় ১৬ হাজার ১২৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c05aca01e, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম: রাশিয়া," বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ সক্ষম বলে জানিয়েছে রাশিয়া।সম্প্রতি সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ কথা বলেন। শনিবার তার বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বক্তব্য প্রকাশ করে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ দূতাবাস।মারিয়া জাখারোভারের বরাতে রুশ দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়াই, স্বাধীনভাবে, জাতীয় আইনের সম্পূর্ণ সম্মতিতে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারির নির্ধারিত সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’মারিয়া জাখারোভা বলেন, অক্টোবরের শেষ দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিরোধী দলের একজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠক হয়। রাষ্ট্রদূত ওই নেতাকে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকেও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব কর্মকাণ্ডকে 'সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু হিসাবে দেখা যায় না' বলেও উল্লেখ করেন মারিয়া জাখারোভা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c05ed92e3, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩," ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে আমরা তৃপ্তি পাব’"," বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে আমরাও (নির্বাচন কমিশন) তৃপ্তি পাব। আমরা চেয়েছি নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। সে লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির যে এজেন্ডা রয়েছে সেটি ভিন্ন ইস্যু। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে পারে। তারা যদি কোনো সমাধানে আসে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে আহসান আহসান হাবিব খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক পদ তাই এর সুরক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আর ভোটার উপস্থিত করানোর দায়িত্ব প্রার্থীর। তবে কেউ ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে তার তিন থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। আর আমরা সেভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি।’ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। এতে সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c05025e29, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আদেশক্রমে গত বৃহস্পতিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একটি করে ৩০০ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার বিষয়ে কমিটির চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।এতে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন ও প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ওই কর্মকর্তারা নিজ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।এ ছাড়া দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে জানানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর পাঠাবেন এবং ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব ও সিনিয়র বা সহকারী সচিবের ইন্টারনাল অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১-৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর; প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞাপনে সংসদীয় আসন ও নির্বাচনী এলাকার নামসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও কর্মস্থল উল্লেখ করে পূর্ণ তালিকাটি দেখতে ক্লিক করুন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c026c5c7310, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, রূপগঞ্জ থেকেই নির্বাচন করবেন তৈমূর," রূপগঞ্জে দালাল বাহিনীর কারণে সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমি নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কোনো দালাল বাহিনী করতে দেওয়া হবে না।কথাগুলো বলেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। গতকাল বিকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী খন্দকার বাড়িতে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রূপগঞ্জ থেকে তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন। এ সময় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলাউদ্দিন।তৈমূর আলম আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার কোনো পিএস, এপিএস থাকবে না। আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে রূপগঞ্জের মানুষকে চাকরি দিয়ে মামলা খেয়েছি। আমি রূপগঞ্জের মানুষের কথা চিন্তা করে বৈধ গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তৈমূর আলম বলেন, নেতাদের মামলা দিলে ভোট দিতে যাবে কারা। তবে যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c01927b17, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে আসলে সরকার শুভেচ্ছা জানাবে: মোজাম্মেল হক," মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাব। তারা ধ্বংসাত্মক কাজ ছেড়ে, সাংবিধানিক পথে নির্বাচনে অংশ নিলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা থাকবে।আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া খরমপুর কেল্লা বাবার মাজার জিয়ারতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কিছু বলার থাকলে তারা ইলেকশন কমিশনকে বলুক, কমিশন তা বিবেচনা করবে। বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bff5fc561, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিল রাশিয়া," বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকার বিরোধী পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। গতকাল বৃহস্পতিবার অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।জাখারোভা বলেন, অক্টোবরের শেষদিকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় বিরোধী দলের একজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কথা বলে আসছি।নির্বাচন যেন ‘স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক’ মূলক হয় এই দাবির ছদ্মবেশে তারা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে।রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bfd6b13d118, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই : ইসি রাশেদা সুলতানা," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। আমরা কোনো চাপে বিশ্বাসী না। আমাদের মতো করে যেভাবে করণীয়- যতটুকু করণীয় সংবিধান সমুন্নত রেখে যেভাবে নির্বাচন করা প্রয়োজন, সেটিই করব আমরা। সেই পথেই হাঁটছে নির্বাচন কমিশন। দেশে অস্থির কোনো পরিবেশ নেই। তবে পরিবেশ যা আছে, আরও ভালো হবে বলে আশা রাখছি।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারীর রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রস্তুতিমূলক সভাশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে চার জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন তিনি। সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাশেদা সুলতানা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bfcb68a18, আমাদের সময়,২৩ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে তিন নির্দেশনা," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, মাঠ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সব স্তরে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা সবার জাতীয় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে। এমতাবস্থায় চিঠিতে তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।১. আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করা। এ লক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধিদপ্তর, দপ্তর বা সংস্থা থেকে তাদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ প্রদান।২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশ জারি করা।৩. নির্বাচন পরিচালনার কাজ অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস/ প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাকে তাদের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনের কাজে জড়িত আছেন, নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছুটি প্রদান, অন্যত্র বদলি করা, নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত থাকা।এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bfb83d859 , আমাদের সময়,২৩ নভেম্বর ২০২৩,নির্বাচনে আনার জন্য কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ," নির্বাচনে আনার জন্য কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‌‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্বপ্রণোদিত হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। দলটির অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এসব নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। সেটা যারা পারবেন না, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও অংশ নেবেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন লুইস। কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তারা চাইলে তাদের জন্য আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।’",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bfacc7a73 , আমাদের সময়,"২৩ নভেম্বর ২০২৩, ","নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘কার কত দৌড় দেখি’"," বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আসলে কার কত দৌড় দেখি। জনগণ কাকে বেছে নেয় দেখা যাবে। যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাদেরও বলব আসুন নির্বাচনে।’আজ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের পক্ষে থাকুন। না হলে আবার তারা দেশকে পিছিয়ে নেবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবাক লাগে আজ আন্তর্জাতিক মাধ্যম অনেক কথা বলে। আমার প্রশ্ন, যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা নির্বাচনকে কলুষিত করে তখন কোথায় ছিল তারা? তখন তো কিছু বলতে শুনিনি এই দেশগুলোকে। জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।’তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। সুস্থ রাজনীতির সময় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছিল, কিন্তু যখন তারা আবার সহিংসতার সেই পুরনো রূপে ফিরে গেল তখন তারা আবার অসন্তোষের সংগঠন হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।’শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় দেশে গণতন্ত্র থাকুক এবং রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ সেই রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। সারাদেশে দলের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি।’এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভালো হবে না।প্রসঙ্গত, সকাল ১০টার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়। আজকের সভায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। টানা তিন দিন চলবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা। আজকের পর ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bf8280e8a7 https://dainikamadershomoy.com/details/018bf77aaa24, আমাদের সময়,"২৩ নভেম্বর ২০২৩, ", নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা জাতীয় পার্টির," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দলটি। গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব মাধ্যম থেকে জাতীয় পার্টি আশ্বস্ত হয়েছে- নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটাররা নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মহল আশ্বস্ত করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে। জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে। বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৪০০ দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক আসনেই একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আশা করছি, ৩০০ আসনেই আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bf77aaa24, আমাদের সময়,"২২ নভেম্বর ২০২৩,"," যাকেই মনোনয়ন দিবে, আ.লীগ নেতাকর্মীরা তারই নির্বাচন করবে: শিক্ষামন্ত্রী"," বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মনোনয়ন বোর্ড যাকেই মনোনয়ন দিবে, দেশের যে এলাকায় দিবে, নৌকার সেই প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। তারা নৌকার বিজয়কে যেমন নিশ্চিত করবে এবং দলীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করবে।আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলাস্থ নিজ বাসবভনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীন ও বড় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় নির্বাচন করেছে এবং করবে। যখন প্রয়োজন হয়েছে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে। আমাদের সবসময় আদর্শিক জোট হয়েছে। কখনো কখনো আমরা নির্বাচনী জোট করেছি। আমাদের মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ শেষ হলে বোঝা যাবে, আমরা জোটবদ্ধ নাকি জোট ছাড়া নির্বাচন করব।’মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে ভোটাররা আগামী দিনে তাদের দেশ পরিচালনার জন্য দল পছন্দ করে নিতে পারেন।’আগামী জানুয়ারি মাসে বই উৎসব সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bde531d151 , আমাদের সময়,১৮ নভেম্বর ২০২৩,নির্বাচনে আসুক সব দল ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ছিল বিএনপি ও তাদের সহযোগীদের ডাকা ‘টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধে’। অবরোধ ও হরতালের পার্থক্য কি এটা নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলেন, তাত্ত্বিকভাবে হরতাল পালন করা বা না করা জনগণের ইচ্ছাধীন। কিন্তু অবরোধ যারা আহ্বান করে, তারা বলে দেয় অবরোধ করে রাখা স্থানে কেউ যেতে পারবে না। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা শুধু প্রতিহত করতে চায়নি, শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে সংকল্পবদ্ধ, তাই তাদের অবরোধের আওতায় নির্বাচন কমিশন অফিস এবং গণভবন, সরকারের সচিবালয়, পুলিশ সদরদপ্তরসহ অনেক কিছুই আসার কথা। এমনকি রাষ্ট্রপতির অফিস ও বাসভবন বঙ্গভবনও এর আওতায় থাকতে পারত। কিন্তু ‘নিচ্ছিদ্র অবরোধের’ মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন। ভাষণটি রেকর্ডকৃত ছিল না। তিনি নির্বাচন কমিশন ভবন থেকেই লিখিত ভাষণ পাঠ করেছেন, যা সরাসরি প্রচার হয়। নির্বাচন কমিশন অফিস ভবন ও আশপাশের এলাকা তখন ‘চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা’। এর মধ্যেই দেশবাসী জেনে গেলÑ ৭ জানুয়ারি (২০২৪) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নভেম্বর (২০২৩) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়।অতীতে রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে। ২০০৬ সালের ২৭ নভেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দীন আহমদ। তিনি অক্টোবরের শেষ দিকে ঘোষণা করেনÑ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এটা মেনে নেন। কিন্তু ৯ নভেম্বর সচিবদের সভায় রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেন তার সরকার প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। এভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টকেই তিনি বক্ষদেশে ছুরিকাঘাত করেন। সন্দেহ নেই, তার পেছনে ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। একতরফা নির্বাচনেই তারা যেতে চেয়েছে।২৭ নভেম্বর (২০০৬) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণার আগের দিন মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরদিন সকালে অফিস খুলতে না খুলতেই ঘোষণা করা হয় নির্বাচনের তফসিল। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ছিল। কিন্তু পরিষদ সদস্যরা তফসিলের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।শেষ পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবরোধ-হরতালের কর্মসূচি চলতে থাকে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১১ জানুয়ারি (২০০৭) জারি হয় জরুরি আইন। নির্বাচন স্থগিত হয়, যা অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। বিশেষ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন এবং টানা ১৫ বছর তিনি ক্ষমতায়।বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নির্বাচন বয়কট করবে, নাকি বানচাল করবে? তারা কি ২০১৪ সালের মতো সহিংস পন্থায় ভোটপর্ব ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালাবে? নির্বাচন কমিশন কি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে? নির্বাচন অনুষ্ঠান করা গেলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কি ‘বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ছাড়া’ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল মেনে নেবে? নাকি তারা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পথে যাবে? তারা কি শেখ হাসিনাকে অবনত করতে পোশাকের আমদানি কমিয়ে দেবে? তারা কি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আটকে দেবে? ভিসানীতির প্রয়োগে তারা কতটা কঠোর হবে? এ ধরনের অনেক প্রশ্ন এখন জনমনে। সহিংসতা-রক্তপাতের শঙ্কাও রয়েছে। অর্থনীতিতে বড় উদ্বেগ এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ভালো ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, খাদ্যে স্বায়ংসম্পূর্ণতা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রীকে বছরের পর বছর বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদান, বিনামূল্যে সব নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান, স্থল ও সমুদ্র সীমা বৃদ্ধি সাফল্যের তালিকা অনেক বড়। মানুষ অর্থনীতির অগ্রগতির সুফল পেতে শুরু করেছে। কিন্তু ‘বাজারে গেলেই সবার মন খারাপ’। অসহনীয় এ পরিস্থিতিÑ এমন মত প্রকাশ পাচ্ছে। বাজারের দামের চেয়ে অনেক কমে এক কোটি পরিবারকে নিয়মিত চাল-তেল-ডাল দেওয়া হচ্ছে। আরও অনেক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু আছে। কিন্তু ‘দ্রব্যমূল্য’ সরকারের সব সাফল্যকে এক পাশে রেখে দিচ্ছে। অনেকের মতে, ‘বাজার’ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে। নির্বাচনে ‘বাজার’ কতটা প্রভাব ফেলবে? প্রধানমন্ত্রী বড় বড় সমাবেশ করছেন। তিনি ভোট চাইছেন এবং জনগণ হাত তুলে অঙ্গীকার করছে ‘জিতবে এবার নৌকা’। প্রধান একটি বড় দল নির্বাচনের মাঠে নেই এ পর্যন্ত। তাদের প্রধান দুই নেতা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। একজন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে স্বীয় বাসভবনে, অন্যজন বিদেশে নির্বাসিত জীবনে। বিএনপির অন্য নেতারা প্রায় এক বছর ধরে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার আন্দোলন করছেন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিবর্বাচন নয় এটাই তাদের দাবি। তাদের সঙ্গে ডানপন্থি ও বামপন্থি ‘অনেক দল’ রয়েছে। এদের বেশিরভাগ কোনোকালে নির্বাচনে আগ্রহী ছিল না। এক নেতা, এক দল ধারণায় বিশ্বাসী তারা। সেই পাকিস্তান আমল থেকে একদল বলছে ভোটের বাক্সে লাথি মার। উগ্র ধর্মান্ধ একটি মহল সংবিধান, গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা- কিছুই মানে না। এরা সবাই বিএনপির মিত্র। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগী মহল নির্বাচনের মাধ্যমে এককভাবে ক্ষমতায় যাবে, সেটা ভাবে না। তারা বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চায়।এ অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। কারণ তারা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে সরকারের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট যে, ক্ষমতাসীনরা চাইলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এ প্রভাব কি দৃশ্যমান হবে? দৃষ্টিকটু হবে? এখন কিন্তু অনেক নজরদারির চোখ। কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হলে তার প্রমাণ থাকবে।আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ- এক আসনে ৫ থেকে ৭ প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়া। যিনি এমপি হবেন, অনেক ক্ষমতা। তাই মনোনয়ন নিশ্চিত করার প্রতি নজর থাকবে সবার। আর মনোনয়ন পেলে নজর থাকবে যে কোনো মূল্যে জয় নিশ্চিত করা। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এমন প্রার্থী ক’জন আছেন, যার বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হবে না? অনেক প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলে ‘সকলি গরল ভেল’ হয়ে যাবে।অন্যদিকে, বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। তারা নির্বাচন বর্জন করবে, নাকি প্রতিহত করবে? এখন পর্যন্ত যা লক্ষণ, এর কোনোটিই অর্জন করা সম্ভব না। তারা যেটা পারে সেটা সম্ভবত হবে ভোটাররা খুব বেশি সংখ্যায় ভোটকেন্দ্রে যেন না যায় সে জন্য আতংক-ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা। নির্বাচন বর্জন বিএনপির জন্য অস্তিত্ব সংকট ডেকে আনতে পারে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো পরিবেশ না পেলে নির্বাচন বর্জন-প্রতিহত করার নীতি সুফল দেবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ অতীতে একাধিকবার সামরিক শাসন তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। এ দাবি আদায় হয়নি, কিন্তু তারা নির্বাচনে গিয়েছে।আশা থাকবে, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে এক কদম বেশি পা বাড়াতে হতে পারে। নির্বাচনের সময় কোনো দল যেন বিশেষ সুবিধা না পায় কিংবা কোনো দল যেন হয়রানির সম্মুখীন না হয়Ñ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সব দল সরকার গঠন করলে কী করবে এবং কী করবে নাÑ সেটা যেন দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে, সেটাই কাম্য। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, উন্নত বিশ্বের সারিতে যোগ্য আসন করে নেওয়ার জন্য সব দলের আন্তরিক প্রচেষ্টা।অজয় দাশগুপ্ত : বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bde4f9e611 , আমাদের সময়,১৮ নভেম্বর ২০২৩,"জনগণ নির্বাচন চায়, আন্দোলন না "," পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, জনগণ শান্তিতে দুমুঠো ভাত খেতে চায়। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়নে খুশি। এ সরকার গরিব-দুঃখীদের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছে। জনগণ নির্বাচন চায়, আন্দোলন চায় না। কাটাকাটি, মারামারি চায় না। তারা ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। জনগণ আবার শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়।শুক্রবার বেলা ২টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়নের দাওরাই বাজারে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ। সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। কারণ শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন চান। তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে চান।আশার কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ছত্তারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আশার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আয়ুব খানের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদ, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ সদস্য মাহাতাবুল হাসান সমুজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bde4d20896 , আমাদের সময়,১৮ নভেম্বর ২০২৩,আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহ ,"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে। গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিরবৈঠকে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্য শেষে কো-চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেন।এই কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এবং সদস্য সচিব দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হলেও কো-চেয়ারম্যানের পদ ফাঁকা ছিল। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজী জাফর উল্যাহকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওবায়দুল কাদের।নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়Ñ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ১৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির সদস্য হবেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।উপকমিটিগুলো হচ্ছে-ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ। নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তাবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু। নির্বাচন কমিশন সমন্বয়বিষয়ক উপকমিটি লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। দপ্তর ব্যবস্থাপনা উপকমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্যাহ্, সদস্য সচিব সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপকমিটি আহ্বায়ক অ্যাম্বাসেডর মো. জিয়াউদ্দিন, সদস্য সচিব ওয়াসিকা আয়শা খান। লিয়াজোঁ উপকমিটি আহ্বায়ক মো. রশিদুল আলম, সদস্য সচিব বিএম মোজাম্মেল হক। পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপকমিটি আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি আহ্বায়ক ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী, সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মিডিয়া উপকমিটি আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর, সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পেশাজীবী সমন্বয় উপকমিটি আহ্বায়ক ড. মশিউর রহমান, সদস্য সচিব ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইটি-বিষয়ক উপকমিটি আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। বিদেশি মিশন/সংস্থা উপকমিটি আহ্বায়ক অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সদস্য সচিব ড. শাম্মী আহমেদ। সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া উপকমিটি আহ্বায়ক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল। অর্থ বিষয়ক উপকমিটি আহ্বায়ক কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ সদস্য সচিব মো. সিদ্দিকুর রহমান। ধর্মবিষয়ক উপকমিটি আহ্বায়ক খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018bdd9ea118 , আমাদের সময়,১৭ নভেম্বর ২০২৩,আ.লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ১৫ উপকমিটির নেতৃত্বে যারা ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং ১৫টি উপকমিটি গঠন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এসব কমিটি গঠন করা হয়।আজ নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।এ সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেযারম্যান করা হয়েছে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে এবং কো-চেয়ারম্যান করা হয় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। সদস্য হয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ১৫টি উপ-কমিটিগুলো হলো: ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটিআহ্বায়ক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ।নির্বাচন সম্পর্কিত আইনি সহায়তা বিষয়ক উপ-কমিটিআহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও সদস্য সচিব অ্যাড. নজিবুল্লাহ হিরু।নির্বাচন কমিশন সমন্বয় বিষয়ক উপকমিটিআহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।দপ্তর ব্যবস্থাপন উপকমিটিআহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহ ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপকমিটিআহ্বায়ক হয়েছেন অ্যাম্বাসেডর মো. জিয়াউদ্দিন ও সদস্য সচিব ওয়াসিকা আয়শা খান।লিয়াজোঁ উপকমিটিআহ্বায়ক মো. রশিদুল আলম ও সদস্য সচিব বি. এম মোজাম্মেল হক।পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপকমিটিআহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী ও সদস্য সচিব অ্যাড. সানজিদা খানম।প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটিআহ্বায়ক ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী ও সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।মিডিয়া উপকমিটিআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।পেশাজীবী সমন্বয় উপকমিটিআহ্বায়ক ড. মশিউর রহমান ও সদস্য সচিব ডা. রোকেয়া সুলতানা।আইটি বিষয়ক উপকমিটিআহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর ও সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।বিদেশি মিশন/সংস্থা উপকমিটিআহ্বায়ক অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির ও সদস্য সচিব ড. শাম্মী আহমেদ।সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া উপকমিটিআহ্বায়ক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও সদস্য সচিব শ্রী অসীম কুমার উকিল।অর্থ বিষয়ক উপকমিটিআহ্বায়ক কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ ও সদস্য সচিব মো. সিদ্দিকুর রহমানধর্ম বিষয়ক উপকমিটিআহ্বায়ক খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018be19b1ea8 , আমাদের সময়,"১৮ নভেম্বর ২০২৩, ",‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি না সিদ্ধান্ত দু-এক দিনের মধ্যে’ ," সংলাপ ছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা দুই-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।আজ শনিবার গণমাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ডায়ালগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিএনপিও ডায়ালগের ব্যাপারে স্পষ্টভাবে তেমন কিছু বলেনি। সরকারি দলও ডায়ালগের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ রকম একটি অবস্থায় নির্বাচনে আমরা যাব কি না এ প্রশ্নটা এখন দাঁড়িয়েছে। আমরা দু-এক ‍দিনের মধ্যে যারা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে আবেদন করেছে দেশের চার রাজনৈতিক দল। আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এখন পর্যন্ত চার দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে যাওয়ার আবেদন করেছে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।দলগুলো হলো- হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), দীলিপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018be27a39cd , আমাদের সময়,"১৮ নভেম্বর ২০২৩, ",মরণোত্তর ‘আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার’ পেলেন লুনা শামসুদ্দোহা ," বাংলাদেশে ছবি ও আঙুলের ছাপযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব লুনা শামসুদ্দোহা মরণোত্তর আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার ‘মেরিটোরিয়াস অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন।ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (আইসিপিএস) এবং পর্তুগিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ১৫ নভেম্বর লিসবনে ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে লুনা শামসুদ্দোহার একমাত্র কন্যা রীম শামসুদ্দোহার হাতে ‌‘মেরিটোরিয়াস অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রেসিডেন্ট সোরেতো ডি ব্যারোসসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাহিদীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব লুনা শামসুদ্দোহা ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। আইসিপিএস উল্লেখ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অমূল্য অবদান রাখার জন্য লুনাকে এবার নির্বাচনী পুরস্কার ‘মেরিটোরিয়াস অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হলো। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তার অসাধারণ অবদান ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরষ্কার বৈশ্বিক নির্বাচনী ডোমেনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থাসমূহের জন্য প্রশংসনীয় সাফল্যের একটি উজ্জ্বল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পার্লামেন্টারি স্টাডিজের (আইসিপিএস) প্রধান নির্বাহী ম্যাট গোখুলের নেতৃত্বে গঠিত বিচারক প্যানেল আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার-২০২৩ বাছাইয়ের কাজ করেছেন। বিচারক প্যানেলে আরও ছিলেন, পর্তুগিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রেসিডেন্ট সোরেতো ডি ব্যারোস, ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাহিদী, মার্কিন নির্বাচন সহায়তা কমিশনের সদস্য টমাস হিকস, ইলেক্টোরাল সাইকোলজি অবজারভেটরির ডিরেক্টর মাইকেল ব্রুটার, মেক্সিকোর ফেডারেল জুডিশিয়ারির ইলেক্টোরাল ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডিরেক্টর আলবার্তো গুয়েভারা, ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের ডিরেক্টর টবি জেমস, দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশনের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার জন হলিন্স, অন্টারিও’র সাবেক প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সাই মামাবোলো, লিথুয়ানিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান লরা মাতজোসাইটে এবং সেন্টার ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট, রিফর্মস অ্যান্ড ট্রেনিং অব জর্জিয়ার ডিরেক্টর নাটিয়া জালিশভিলি।লুনা শামসুদ্দোহার স্বামী ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রেসিডেন্ট একেএম শামসুদ্দোহা বলেন, মরণোত্তর আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পুরস্কার অর্জন অত্যন্ত গর্বের। কেননা বৈশ্বিক নির্বাচনী ডোমেনে এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ জায়গা। তিনি এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য দোহাটেক নিউ মিডিয়ার সকল প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা স্মরণ করেন। উল্লেখ্য, লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য ছবি ও আঙুলের ছাপযুক্ত ভোটার নিবন্ধনে ব্যবহৃত সফটওয়্যার উদ্ভাবনে যুক্ত ছিলেন। লুনার প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া এই সফটওয়্যার ডেভলপমন্টের ক্ষেত্রে পার্টনার ছিল। মাল্টি-বায়োমেট্রিকসহ এই ভোটার নিবন্ধন সফটওয়্যার বিশ্বে প্রথম এবং বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার হচ্ছে।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018be16771d3 , আমাদের সময়,"১৮ নভেম্বর ২০২৩, ",আ. লীগের সঙ্গে নির্বাচন করতে ইসিতে আবেদন ৪ দলের ," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে আবেদন করেছে দেশের চার রাজনৈতিক দল। আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এখন পর্যন্ত চার দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে যাওয়ার আবেদন করেছে।নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।দলগুলো হলো- হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), দীলিপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক দলগুলোকে আজ শনিবারের মধ্যে জানাতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত এই চার দল নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।",Positive https://dainikamadershomoy.com/details/018c3467cb0e, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, তামাশার নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ," সরকার ‘একতরফা তামাশার’ নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা এই অভিযোগ করেন।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে সরকার যে তামাশা করেছে, এরা যে প্রহসন করেছে সেই প্রহসন এবার ২০২৪ সালে মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে করতে চাচ্ছে। তাদের তামাশা দেশকে দুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। পুরো দেশের জন্য বিয়োগান্ত পরিণতি তারা ডেকে আনছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে আসবে। সেরকম একটি আশঙ্কা অনেকগুলো গণমাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে এই সংবাদ বেরিয়ে আসছে। মানুষ আজকে দুচিন্তার মধ্যে দিনরাত কাটাচ্ছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে দেশকে ওরা বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।’সরকারের উদ্দেশে সাইফুল হক বলেন, ‘এখনো সময় আছে সোজা পথে হাঁটেন। যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে বিদায় নিতে চান, এই তামাশার নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন। বাতিল করে কিভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। জনগণের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। নির্বাচনকালীন এই সংকট উত্তরণের পথটা এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায় নাই। সেই পথে না হাঁটলে মানুষ যেভাবে রাজপথে নেমেছে পরিণতি শুভ হবে না।’গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এবারে বলা হচ্ছিল নতুন একটা চমক আসবে। সেটা হচ্ছে, এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই বললেন, ‘‘ডামি প্রার্থী দাও”। ডামি দিয়ে উনি নির্বাচন করবেন। কারণ যাদেরকে ধরে-টরে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের এবং তাদের খোদ তথাকথিত সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিকেও সবাই উনার কাছে গিয়ে আগে সিট পাওয়ার নিশ্চয়তা চায় সবাই চায় আমরা এমপি হব।’তিনি আরও বলেন, ‘এখন উনি প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায় পাবেন? নিজেই আবিষ্কার করলেন, ডামি প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়ে উনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করবেন। কিন্তু সবসময় উনি যা চান তাই হবে এমন তো নয়। সেই কারণে আজকে একটু উভয় সংকটে পড়েছেন। কুল রাখি না শ্যাম রাখি উনার দলের শতশত প্রার্থী আছেন ডামি আর স্বতন্ত্র। এই ডামি-স্বতন্ত্ররা সকলে নৌকা। এখন নৌকা আর মনোনীত নৌকা সঙ্গে ধাক্কা-ধাক্কি করছে। ইতোমধ্যে মারামারি শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলো আরও কি হবে আমরা জানি না। অনেককে আশঙ্কা করছেন, মনোনীত নৌকা, ডামি নৌকা, স্বতন্ত্র নৌকা আর বিদ্রোহী নৌকা মিলে এমন এক তাণ্ডব ঘটবে এটা আর উনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’সাকি বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বরেরআগে এসব ডামি-স্বতন্ত্র-বিদ্রোহীরা নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। উনার একেক কায়দায় বাতিল করছেন, আর শেষ কায়দায় হুকুম দিয়ে বাতিল করাবেন। এ সব মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি আর না হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা নির্বাচন এই হচ্ছে শেখ হাসিনার উপহার। বাংলাদেশকে তারা এই জায়গায় নিয়ে এসেছে এটাই হচ্ছে তাদের উন্নয়ন। বাংলাদেশের মানুষ এই উন্নয়ন গ্রহণ করে না। এভাবে দমনপীড়ন করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে তারা আবারও ক্ষমতায় থাকতে নানা চক্রান্ত করছে। কিন্তু কাজ হবে না, জনগণ এবার রুখে দেবে।’সমাবেশের সভাপতি গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ডামি নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জনগণের আশাকে নয়-ছয় করে, জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে যে তথাকথিত ডামি নির্বাচন করছে তা আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ করতে দেব না।’সমাবেশে বক্তব্য দেন জেএসডির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9a4bf250, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ‌‘জীবন থাকতে একতরফা নির্বাচন মেনে নেব না’," ডামি নির্বাচন বর্জন, চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আজ রবিবার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এদিন সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে রাজশাহী নগরীর ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এই মিছিল করেন তারা।এ সময় নেতাকর্মীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আগামীকালের অবরোধ, সফল হোক সফল হোক’, ‘খালেদা জিয়ার অবরোধ, চলছেই চলবে’, ‘তারেক জিয়ার অবরোধ, চলছেই চলবে’, ‘রাজশাহবাসীর অবরোধ, চলছেই চলবে’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘ভোট চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’, ‘অবৈধ নির্বাচন, মানি না মানব না’, ‘খালেদা জিয়ার অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাক্শন’, ‘রাবি শাখার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।মিছিলের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা ছাত্রসমাজ ২০১৪ ও ২০১৮ তে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোট প্রদান করতে পারিনি। এবারও নির্বাচনে আমাদের দমন করার জন্য মিথ্যা গাড়ি পোড়ানো মামলা দিয়ে দমন করতে চায় মাফিয়া সরকার। কিন্তুু ছাত্র সমাজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারে রাজপথে রয়েছে। আমাদের জীবন থাকতে আমরা একতরফা নির্বাচন মেনে নেব না।’তিনি আরও বলেন, ‘ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ সফল করতে মশাল মিছিল করেছি আমরা। আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি, অনতিবিলম্বে ভোট চোর হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে।এ ছাড়া আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহির নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম কনক, রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিলুর রহমান সোহাগ, মাইনুল ইসলাম মিন্টু সহ বিভিন্ন পযার্য়ের নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c97de9dd45, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ফিউজ হয়ে গেছে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক - তথ্যমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আন্দোলনে থাকা বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে মøান করতে পারেনি; তাদের অগ্নিসন্ত্রাসেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।গতকাল নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এগুলো দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা এখন অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরাইএই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না। যেহেতু তাদের নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই সাড়া দেয়নি, সুতরাং এই অসহযোগ কর্মসূচি বিএনপির ক্ষেত্রেই সফল।দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব বিদেশির কাছে বিএনপি বারবার ধর্ণা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছে।এদিকে অন্য একটি সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রাণীর মধ্যে ব্যাঙ খুব ছোট, কিন্তু আওয়াজ খুব বড়। রাজনীতিতেও কিছু কিছু ব্যাঙ আছে। বিএনপির সঙ্গে এ ধরনের কিছু ছোট রাজনৈতিক দল আছে, যাদের আওয়াজ খুব বড়। রাজনীতির ব্যাঙদের আওয়াজ হঠাৎ খুব বড় হয়ে গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c97cb9e2e4, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটছে কি?," নির্বাচনী প্রচার জোরেশোরেই শুরু হয়েছে। নির্বাচন বর্জনের আন্দোলনে কিছুটা গতি এলেও শেষ বিচারে কতটা কার্যকর হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তা ছাড়া রেল-বাস পোড়ানো এবং তাতে মানুষ পুড়িয়ে মারার যে অভিযোগ তৈরি হচ্ছে তার সমালোচনার তুলনায় আন্দোলনের প্রভাব কি সুদূরপ্রসারী হবে? রাজনৈতিক বিবেচনায় তা মনে হয় না। বিএনপি যেহেতু ক্ষমতার রাজনীতিতেই অভ্যস্ত তাই নির্বাচন বর্জন ও তাকে ঘিরে একটা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। এই সীমিত লক্ষ্যের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে বাম প্রগতিশীল কিছু দলও। এই কৌশল তাদের জন্য কতটা রাজনৈতিক সুফল আনবে তা খুবই অনিশ্চিত। কারণ ক্ষমতার এই খেলায় আওয়ামী লীগও পাল্টা কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। তাতে একেবারে ফল পাচ্ছে না তা বলা যাবে না।আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে চতুর কৌশলেই খেলছে। একদিকে বিএনপির অনেক নেতাকে মামলায় জড়িয়ে কারাগারে বন্দি করেছে, অন্যদিকে বেশকিছু নেতাকে বাইরে থেকে আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে দিচ্ছে। তাতে নেতাদের কারাবন্দি করার কারণে যে সমালোচনা তা এক ধরনের ভারসাম্য পাচ্ছে। পাশাপাশি নিজ দলের থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোর কৌশলটি কিছু কাজ দিচ্ছে। অনেক আসনেই এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়েছে এবং তাতে ভোটের কার্যক্রমে মানুষের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কত শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসেন। এটাই ক্ষমতাসীন দল, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।অবরোধ, হরতাল বা অসহযোগের মতো কার্যক্রম জনজীবনে তেমন প্রভাব ফেলেনি। তবে এর প্রভাব দ্রব্যমূল্যে পড়েছে, মানুষের মনে চাপা ভয় কাজ করছে এবং সামগ্রিকভাবে জন-অসন্তুষ্টি বাড়ছে। তবে তার দায় একতরফা সরকারের ওপর পড়বে বলে মনে হয় না। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কার ওপর বেশি পড়বে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন এই ঝুঁকিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পরিবর্তে বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেই লাভবান হতো। কারণ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য দেশীয় চাপ যেমন ছিল তেমনি অনেক বেশি ছিল আন্তর্জাতিক আগ্রহ ও চাপ। ক্ষমতাসীন দল এটা ভালোভাবে বুঝেছে। কিন্তু তারা যখন লক্ষ্য করল বিএনপির মূল নেতৃত্ব সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকেই প্রাধান্য দিয়ে আন্দোলনে থাকতে আগ্রহী তখন তারাই উল্টো বিরোধী দলের ওপর যুগপৎ চাপ প্রয়োগ ও তাদের আন্দোলনে রাখার কৌশল প্রয়োগ করেছে। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন দল তাদের দিক থেকে তিনটি বিষয় দৃশ্যমান করতে পারল- ১. সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই বিএনপির কিছু নেতা গ্রেপ্তার ও শাস্তি ভোগ করছেন, যা একটি আইনি প্রক্রিয়া; ২. বিরোধী দল জনসম্পত্তির ক্ষতি ও মানুষ পোড়ানোর মতো ধ্বংসাত্মক কাজ করছে; ৩. এতদসত্ত্বেও সব বিরোধী পক্ষ রাজপথে সরকার ও নির্বাচনের বিরুদ্ধে মতামত তুলে ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছে। এখানে প্রাসঙ্গিক একটি চাপা প্রশ্ন তুলে ধরা যায়Ñ যদি আন্দোলনের ফসল হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের চাপ ধরে রেখে বিএনপি দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিত তা হলে হয়তো তারেক জিয়াকে ছাপিয়ে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্ব প্রধান হয়ে উঠত, যা হয়তো স্বয়ং তারেক জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাই চাননি বা চান না। বর্তমান বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয় বলে এ নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি ন্যূনপক্ষে ৬০-৮০টা আসন পেত এবং এ রকম শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুলের ভাবমূর্তি অনেক উঁচুতে উঠত ও শক্তিশালী হতো।আমরা এও লক্ষ্য করছি, নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পরে জাতিসংঘের বিবৃতিতে জ্বালাও-পোড়াওসহ ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের বিষয়ে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের কথাই বলা হয়েছেÑ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রসঙ্গ আর আসেনি। এদিকে সম্ভবত আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে এই সরকারের প্রধান মিত্র ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনার জন্যই বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত পিটার হাস তড়িঘড়ি ভারত সফরে গেছেন। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ছুটি কাটানো তার মতো ব্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রদূতের জন্য এক চমক- বলতেই হবে, বেশ ব্যতিক্রমী চমক।সামনের কয়েক দিনে আরও ঘটনা ঘটবে, তবে নির্বাচন নিয়ে কৌশল পাল্টানোর সুযোগ আর নেই। আগামী ৭ তারিখের নির্বাচন-পরবর্তী সামগ্রিক মূল্যায়ন থেকে বিএনপির জন্য পরবর্তী রাজনৈতিক পথনির্দেশ মিলবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9839752d2, আমাদের সময়, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩০ নভেম্বর নির্বাচন হয়ে গেছে -আবদুল মঈন খান," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি কীসের নির্বাচন হবে? নির্বাচন তো ৩০ নভেম্বর ভোট ভাগাভাগি করে হয়েই গেছে। সেই নির্বাচনের ফলও সরকারের হেডকোয়ার্টারে নির্ধারণ হয়ে গেছে।গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনাসভায় আবদুল মঈন খান এসব মন্তব্য করেন। ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার’ শিরোনামে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট এ সভা আয়োজন করে। এতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এটা তো কোনো ভোট নয়। ৭ জানুয়ারি সকালবেলা ওরা (আওয়ামী লীগ) সব মঞ্চ সাজিয়ে রাখবে। ঘরে ঘরে কিছু পোস্টার ও ব্যালট পেপার থাকবে। আর বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি বড় লাইন থাকবে। ওদেরকে দুবার করে নাশতা খাওয়াবে, তিনবার করে লাঞ্চ করাবে, টাকাও পকেটে গুঁজে দেবে। যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে, তখন টেলিভিশনে ফল ঘোষণা করা হবে। এটা আটকানো যাবে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) ঘরে বসে যখন নমিনেশন পেপার বিতরণ করে, এটা ঠেকাবেন কী করে?’ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, কোনো দেশপ্রেমিক ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না। সবাইকে বলব, এ সরকারকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অসহযোগিতা করে আমাদেরকে বিরাট এক জাগরণ তৈরি করতে হবে। ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত নির্বাচন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। আজকে এরা আমাদের ভোট কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রকে একটা অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলছে।সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীন।এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণের কর্মসূচিতে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা এই গণপ্রতিনিধিত্ববিহীন সরকারকে সরিয়ে দেশে জনগণের সরকার কায়েম করব। এই উদ্দেশ্যে আমরা রাজপথে আছি; মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি করছি, মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াইয়ে নেমেছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c967a6b20, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বিএনপি-জামায়াত’," রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে দেশবিরোধী সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াত। তারা সংবিধান, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিরোধী।আজ শনিবার বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটার ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মতবিনিময় করেন শিক্ষকবিদ ও বিশিষ্টজনরা।জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ।তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে বিরোধী পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশে ধরনা দিচ্ছে। তাদের আচরণ কোনো রাজনৈতিক দলের ভেতর পড়ে না। বর্তমানে তারা নির্বাচনে বাধা তৈরি করছে। এই নির্বাচন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে চান তারা দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।’সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নাম নেওয়া যাবে না, এমন আইন করেছিল জিয়াউর রহমান। তার আমলে চলচ্চিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত বড় কিংস পার্টি। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে গঠিত বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এখন বড় কিংস পার্টি। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ মানে দেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর প্রচেষ্টা।’বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করার জন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে ভূমিকা পালন করবেন। সবার আন্তরিক একান্ত প্রয়োজন।’সেমিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফুল ইসলাম।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c9386eefc6, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, আরেকটা ভুয়া নির্বাচন হতে দেবে না জনগণ : গণতন্ত্র মঞ্চ," নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভা-সমাবেশের ওপর যতই নিষেধাজ্ঞা দিক না কেন, জনগণ আরেকটা ভুয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ শীর্ষক গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তারা এ হুশিয়ারি দেন।শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন এবং নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।সমাবেশ শেষে বের হওয়া গণসংযাগ মিছিল শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে প- হয়ে যায়। আজ শনিবার বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ এবং মালিবাগ অভিমুখে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে সমাবেশে নেতারা বলেন, এখনো সময় আছে সব বিরোধীপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করুন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c92b91f516, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হবে -ইসি আনিছুর," নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।তিনি গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তা ছাড়া প্রচারের সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচার চালায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচার চালানো যাবে না। সে জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মোটরসাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c95aa0d7d, আমাদের সময়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের ‘নির্বাচন বর্জন’র লিফলেট বিতরণ," কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা।পুলিশি বাধার মুখেও মতিঝিলে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণরাজধানীর মতিঝিলে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবু আম্মার, শামসুল বারী, মোতাসিম বিল্লাহ, ছাত্রনেতা তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।ডেমরায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে ডেমরা থানার কোনাপাড়া বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ইঞ্জি এম. ডি. আলী, কে. এম. মোজাফফর হোসেন, আবু জয়নব, আবু মৃধা, জসিমউদদীন, মো. দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।সবুজবাগে লিফলেট বিতরণসবুজবাগের বাসাবো এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমানের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবু নাবিল, মাওলানা আবু মাহি, মো ইসহাক, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা মিঠু, ছাত্রনেতা ফাহিম হাসান, হাসিব আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।খিলগাঁওয়ে লিফলেট বিতরণঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমনের নেতৃত্বে খিলগাঁও থানার বিভিন্ন স্পটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলী, আবু মুয়াজ, সাজেদুর রহমান শিবলী, জামায়াত নেতা খোরশেদ আলম, আবিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।ধানমন্ডিতে লিফলেট বিতরণভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে জামায়াতের নেতাকমীরা। অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।শনির আখড়ায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণরাজধানীর শনির আখড়াই গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য সাদেক বিল্লাহর নেতৃত্বে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নওশের আহমেদ, রাসেল মাহমুদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।বংশালে গণসংযোগপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের লালবাগ-বংশাল এলাকায় মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য মতিউর রহমানের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জোনের বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ। কদমতলীতে লিফলেট বিতরণঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মো. মহিউদ্দিন, মো. আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সূত্রাপুর-সদরঘাট এলাকার বিভিন্ন স্পটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসানের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য সাইফুল ইসলাম, মোতাসিম বিল্লাহ, রানা সরকার, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, নোমান শিকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।যাত্রাবাড়ীতে লিফলেট বিতরণপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য শাহজাহান খানের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আবু তাহসিন, রবিউল ইসলাম, শ্রমিক নেতা জুবায়ের মাহমুদ, ছাত্রনেতা দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচররাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে জামায়াতের নেতাকমীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিকের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুজিবুর রহমান, শহীদুল ইসলাম সোহেল, আব্দুস সামাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।এদিকে রাজধানীর ১১০ স্পটে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। বাড্ডাবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভাটারা থানার উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মাদানি এভিনিউতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য আবু রোহান, জামায়াত নেতা মো. আব্দুল্লাহ, এম এ কাশেম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ স্থানীয় আরও অনেকেই।মিরপুর শেওড়া পাড়াপ্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল পশ্চিম থানার উদ্যোগে সহকারী সেক্রেটারী ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- আবু রায়হান, আল মাহমুদ প্রমুখ।গুলশানে লিফলেট বিতরণকেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে গুলশান পূর্ব থানার উদ্যোগে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন- গুলশান পূর্ব যুব বিভাগের সভাপতি মিলন সরদার ও সেক্রেটারি রাহাত হোসেন। মোহাম্মদপুর ও মগবাজারবাংলাদেশ জামায়াত নেতা মারুফ বিল্লাহর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। আর ডা. মো. সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে মগবাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয়।এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রেজাউল করিম, আনোয়ার হোসেন, আশিক মাহমুদ প্রমুখ।হাতিরঝিলহাতিরঝিল পশ্চিম থানার নয়াটোলা উত্তর ওয়ার্ডের লিফলেট বিতরণ করা হয়। জামায়াত নেতা ই কে হোসাইনের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- আশিকুর রহমান, গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।শিল্পাঞ্চল থানাবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শিল্পাঞ্চল থানার উদ্যোগে থানা আমির এম এ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন মহল্লায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা রেজাউল করিম, আশিকুল ইসলাম, আ.রহমান প্রমুখ।মোহাম্মদপুর মধ্য থানাপ্রহসনের ডামি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচা বাজার এলাকায় গণসংযোগ পালন করা হয়েছে। মোহাম্মাদপুর জোন পরিচালক জিয়াউল হাসানের নেতৃত্বে গণসংযোগে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদপুর মধ্য থানার আমির মশিউর রহমানসহ স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা।তেজগাঁওকেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেজগাঁও উত্তর থানার উদ্যোগে মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য এম এইচ উল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন মহল্লায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা নাসিফ, আবু এনাম প্রমুখ।মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানাঢাকা উত্তর সিটির মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানার উদ্যোগে থানার আমীর এস কে হোসেনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর অঞ্চলের বাবরী মসজিদ, আজিজ খান ও জাফরাবাদ রোডের আশেপাশে ‘ভোট বর্জন’ সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- থানা সেক্রেটারি নাঈম হাসান, আব্দুল্লাহ, আবু জর গিফারী প্রমুখ।কাফরুল দক্ষিণ থানাইব্রাহিমপুরবর্ণমালা ওয়ার্ডের উদ্যোগে লিফট বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন- থানা সেক্রেটারি মুসআব মুহাইমিন, বর্ণমালা ওয়ার্ড সভাপতি কবির হোসেন প্রমুখ।জাফরাবাদমোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার জাফরাবাদ ওয়ার্ডে প্রহসনের নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে ওয়ার্ড সভাপতি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাংগঠনিক ৫৩ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড, মহল্লার ১১০ স্পটে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c911be333, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা," মেহেরপুরের গাংনীতে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী অফিসের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মী শরীফুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর তিনি ও তার লোকজন কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কে বা কারা এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে একটি কুচক্রী মহল নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত করে তুলতে নির্বাচনী কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।’রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সাকলায়েন সেপু বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। ভোটাররা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার জবাব দেবে।’গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c8e6119226, আমাদের সময়, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়," বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বলা হয়, জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের একটি অংশ আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।এদিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনাতেও বিএনপিকে দায়ী করে ফেসবুকে আলাদা পোস্ট দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিএনপি সমর্থকরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং তাদের বিতর্কিত দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করতে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে লিপ্ত। ১৩ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রেলওয়ে ট্র্যাকের ২০ ফুটের একটি অংশ সরিয়ে দেয়। ফলে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c887c1d643, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ভাগাভাগির নির্বাচন বর্জন করুন," লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট সমস্যা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোরই নয়, দেশ ও জাতিরও সমস্যা। সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায় সমাজকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। তাই এভাগাভাগির একদলীয় নির্বাচন বর্জন করুন। দেশ বাঁচান। গতকাল বিকালে এলডিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগের একদফাসহ তফসিল বাতিলের দাবিতে ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর লিফলেট বিতরণ ও ২৪ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অবৈধ কর্মকা- জায়েজের জন্য যেনতেনভাবে পুনরায় ক্ষমতা দখল নিতে। কিন্তু এ দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, জনগণ ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলবে। এ ভাগাভাগির নির্বাচনে দেশ ও জনগণ এক গভীর সংকটে পড়বে। তাই চিরতরের জন্য দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, নির্যাতন ও নিপীড়নকারীদের বর্জন করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না, নতুন উদ্যমে সাহসের সঙ্গে বর্তমান সরকারকে না বলতে হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c88acee6f6, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, লরির ধাক্কায় নির্বাচন কর্মকর্তা নিহত," রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় লরির ধাক্কায় থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আল-মামুন (৪৮) নিহত হয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার আকাশি তিল্লী গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে ছেলে রিয়াদ আবির বাবা মামুনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ১১টায় চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন।আবির বলেন, তার বাবা উত্তরায় অফিস করতেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিমানবন্দর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দর থানা এলাকায় কন্টিনার লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনি আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c887c1bb92, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘বিরোধী দল খোঁজার’ নির্বাচন হচ্ছে," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘বিরোধী দল খোঁজার’ প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘২৬ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাদের ১৩টি দলের নামও কেউ বলতে পারবে না। আসন ভাগাভাগির পর সরকারি দলের ২৪০ আসন নিশ্চিত।’গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।‘ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক আমলা, কূটনীতিবিদ, সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নির্বাচনবিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কেউ কেউ বলতে চাচ্ছেনÑ জনগণ অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, তাহলে স্বৈরশাসকদের সময়ের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন? অংশগ্রহণমূলক মানে যারা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে পারবে, সেসব দলের অংশগ্রহণ।’ সবকিছু ঠিক থাকলেও আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।এই নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতি হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনীতি আর দেশে থাকবে না। উদার গণতন্ত্রের কথা ভুলে যেতে হবে, বিশেষায়িত গণতন্ত্রে প্রবেশ করব।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c85e8ff32, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দায় কার, জানালেন সিইসি (ভিডিও)"," নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়ী করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থী। সংবিধানে সভা সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলা হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে। এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সার্বজনীন।’তিনি বলেন, ‘যারা সভা-সমাবেশ করছে নির্বাচনের পক্ষে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে তারা মুখোমুখি হলে সংঘাতের ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই এ ধরনের যেকোনো ঘটনা যাতে না ঘটে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে কোনো সমস্যা নাই।’ এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে, ভোট কেন্দ্রে কোনো কারচুপি হচ্ছে কিনা? যেকোনো উপায়ে জেতার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বের হয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন সিইসি।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে না। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল। ফলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে জনবল নিতে হয় কমিশনকে।’সিইসি মন্তব্য করেন, এককভাবে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই নির্বাচন সফল হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন, এই বিতর্ক সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। এ সময় তিনি বলেন, ‘তবে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’ নিবার্চন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c8697478b, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার," নরসিংদীতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাদিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল মঙ্গলবার রাতে মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।গ্রেপ্তার হওয়া নাদিম মাহমুদ মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী এ্যাড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের নির্বাচনী প্রচারণায় দৌলতপুর ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় নাদিম মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সমর্থকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। সভায় দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওটি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসলে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গতকাল রাতে মনোহরদী উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাসিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গতকাল রাতে নাদিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ওই সভায় নাদিম বলেন, ‘দৌলতপুরে আওয়ামী পরিবারের অনেক লোক আছেন যারা আমাদের ভেতরে থেকে বীরুর (স্বতন্ত্র প্রার্থী) জন্য কাজ করছেন। আপনাদের সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি। আপনারা যদি বীরুর নির্বাচন করেন, তাহলে আপনারা শরীর থেকে কাটাবাড়ির (স্বতন্ত্র প্রার্থীর এলাকা) জার্সি খুলে বীরুর জন্য ওপেন নির্বাচন করেন। এতো কোনো সমস্যা নাই, কিন্তু যদি আমাদের ভেতরে থেকে বীরুর নির্বাচন করেন, একদম সমান বানিয়ে ফেলব। আমাদের ভেতরে থেকে বীরুর নির্বাচন করলে তাদের কিন্তু একজনেরও অস্তিত্ব থাকবে না।’ মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, ‘নাদিম মাহমুদ প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নিয়ে ভয়ভীতিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতির আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় কমিশনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c86b26853, আমাদের সময়,২০ ডিসেম্বর ২০২৩, এই ফোর টোয়েন্টি নির্বাচন নিয়ে বড়াই করার কিছুই নেই: মান্না," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ফোর টোয়েন্টির’ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রচণ্ড নির্যাতনের মধ্যেও আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যেতে থাকব; পারলে ঠেকান। কী করবেন?গ্রেপ্তার করবেন ? সাজা দেবেন? দিতে থাকেন, আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না।’নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘যতই নাটক করেন, যত কিছুই করেন ৭ জানুয়ারি আসবে, চলে যাবে আপনার সংকট শেষ হবে না। এই নির্বাচন তথাকথিত জালিয়াতির নির্বাচন, আওয়ামী লীগকে ইতোমধ্যে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, এবার তেপান্তরে পাঠাবে। বাঁচার উপায় নেই আওয়ামী লীগের। যত কিছুই করেন না কেন, জনগণের রুদ্ধ রোষানলে আপনারা টিকতে পারবেন না।’তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিবৃতি দিয়েছেন। মনে হয়েছে আওয়ামী লীগের প‌্যাডে তিনি বিবৃতি দিয়েছেন। কোনো তদন্ত ছাড়াই তিনি বললেন, ট্রেনে আগুন দিয়েছে বিরোধীদল। ট্রেনের আগুন লাগা বগিতে নুরুল নামে একজন ছিলেন, তিনি বলেছেন পোশাক (রেলের কর্মচারীর পোশাক) পরা লোক ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এরা এই পোশাক পেল কোথায়? এগুলোর কোনো তদন্ত নেই।’মান্না বলেন, ‘তাই কমিশনারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, পুলিশ প্রশাসন ও সরকার এক হয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন দমনের জন্য কাজ করছে।’বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c87a4f490, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে দ্বন্দ্বে একজন নিহত," ময়মনসিংহে নির্বাচনী ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে রফিকুল ইসলাম (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় সদর উপজেলার চরভবানীপুর কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জানান, নিহত রফিকুল ইসলাম কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার নাকের বাম পাশে কাটা জখম ছিল। এ ঘটনায় রফিকুলের ভাবি মর্জিনা বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।ওসি আরও জানায়, কোনাপাড়া হোতারবাড়ী মোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এলাকাবাসীসহ কয়েকজন মিলে সেই ক্যাম্পটি স্থাপন করেন। ক্যাম্পটির কর্তৃত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন রফিকের ছোট ভাই ফারুক হোসেন এবং অপর ভাই ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেনের ছেলে রাজু ও আরিফুল ইসলাম সাজু। পরে গতকাল সন্ধ্যায় সেই ক্যাম্পে যান রফিকুল। এরপর তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন ফারুক। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কিলঘুষি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রফিকুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহত রফিকুলের মেয়ে রিক্তা আক্তার বলেন, ‘আমার চাচাদের সঙ্গে বাবার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর আগেও আমার বাবাকে চাচা ফারুক মারধর করেছে। গতকাল রাতে নির্বাচনী ক্যাম্পে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে তারা হত্যা করেছে।’ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের দখল নিতে চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তাদের মধ্যে জমি নিয়েও আগে থেকে বিরোধ ছিল।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c88629af84, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, গণতন্ত্রের সংকটকালের নির্বাচন," গত দুই দিনে ভারতীয় সংসদের উচ্চ এবং নিম্নকক্ষ যথাক্রমে রাজ্যসভা ও লোকসভা থেকে বিরোধী দলের দেড় শতাধিক সংসদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন গণবরখাস্তের ঘটনা সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ধরনের ঘটনা থেকে ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতার একচেটিয়া ব্যবহার বা কর্তৃত্ববাদিতার প্রমাণ মেলে। এ কথা মানতে হবেÑ আজকের দিনে বিশ্বব্যাপী যে অনুদার গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটেছে, তা পশ্চিমের প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশেও দেখা যাচ্ছে। কোথাও উগ্র জাতীয়তাবাদ, কোথাও ইসলামোফোবিয়া, কোথাও বা এন্টি এশিয়ান কিংবা আফ্রিকান মনোভাব প্রকৃত গণতন্ত্রের ধারা ব্যাহত করছে। বিশ্বব্যাপী, বিশেষত নিকট প্রতিবেশী দেশে এ ধরনের প্রবণতার মধ্যে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচন হতে চলেছে। প্রধান বিরোধী দলসহ অন্তত ১৭টি দল ও নাগরিক সমাজের একাংশ সরকারের কর্তৃত্ববাদিতা এবং অসহিষ্ণুতার কঠোর সমালোচনা করে আসছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল তার ভূমিকা পাল্টায়নি বা প্রধান বিরোধী দলও তাদের অবস্থানে হেরফের ঘটায়নি। ফলে একটি শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়েই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।গত তিনটি সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। সর্বশেষ সংসদে বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পক্ষে সরকারি ও তাদের মিত্রদের বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব ছিল না। একপর্যায়ে তারা পদত্যাগ করে সংসদ ছেড়ে যান। ফলে এ সময়ে দেশে অবকাঠামোগত দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হলেও বিপরীতে গণতন্ত্রের ব্যাপক অবক্ষয় হয়েছে। সরকারের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতাও হ্রাস পেয়েছে। বরং সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য ও সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর পরিণতিতে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। রাষ্ট্র বা সরকারকে অকার্যকর বলা যাবে না। কারণ দুটিই সক্রিয় ও ফলপ্রসূ রয়েছে। কিন্তু দেশের গণতন্ত্রকে অকার্যকর বলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অকার্যকর গণতন্ত্রের করুণ পরিণতির দৃষ্টান্ত পাকিস্তান।বাংলাদেশকে আপাতত পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনার কারণ নেই। কেননা পাকিস্তানেই এখন উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতার জন্য বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জোর আলোচনা রয়েছে। তবে কোনো দেশে যদি দীর্ঘদিন কোনো রাজনৈতিক দল একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করে এবং প্রধান বিরোধী দল সংসদের বাইরে থাকে, তা হলে সামগ্রিকভাবে রাজনীতির অবক্ষয় ঘটে। কারণ একচেটিয়া ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ক্রমেই সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বাহিনী এবং এজেন্সির পারস্পরিক সুবিধার সম্পর্ক তৈরি করে। তখন বিভিন্ন সংকটকালে রাজনীতির অকার্যকারিতা ও দেউলিয়াত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এমন অবস্থা কোনো দেশের জন্য কাক্সিক্ষত নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আবির্ভূত বাংলাদেশের জন্য তো নয়ই। নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে রাষ্ট্রে অধিকতর ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো অঙ্গ থাকার কথা নয়; কেবল বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে, নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে।বলা যায়, বর্তমানে দেশের জন্য না হলেও দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক ক্রান্তিকাল। এ সময়ে সরকারি দলকে যেমন বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ, জনগণের বিভিন্ন অংশের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে; তেমনি বিরোধী দলসহ অন্যদেরও ঐতিহাসিক দায় পালনের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের দায়িত্বশীল দূরদর্শী ভূমিকার অভাব দেখছি। বরং এখানে নির্বাচন ঘিরে পারস্পরিক অবিশ্বাস, বর্জন ও সংঘাতধারার পুনরুজ্জীবন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সরকার কিছুটা জবরদস্তি খাটিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। বিরোধী দলও জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতিতে ফিরেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ শঙ্কিত, হতাশ এবং ভয়ংকরভাবে ভীত ও উদ্বিগ্ন। রাজনীতির কাছ থেকে এই উপহার অন্তত বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য নয়। পৃথিবীর কোন দেশে কী ঘটেছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার কারণ একটিইÑ যা মন্দ, তা এড়িয়ে চলা এবং যা ভালো, তা থেকে গ্রহণ করা। আমরা গড়ে তুলব এমন গণতন্ত্রÑ যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে এক জনকল্যাণকর দেশ ও জবাবদিহিমূলক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। ওই কাজে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার সদস্যদের সঠিক ভূমিকা অপরিহার্য। সময় থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার এ নিয়ে ভাবা ও উদ্যোগী হওয়া জরুরি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c87e8d76f, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে: আইনমন্ত্রী," আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে নিশ্চয়ই ভুল করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা হারায়, সেই রাজনৈতিক দল আর টিকে থাকতে পারে না। কিছুদিন পর দেখবেন বিএনপির সেই অবস্থা হবে।’আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ২০১৪ সালে বিএনপি-জামাত নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছে, অগ্নি সন্ত্রাস, বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। এখন সেইটার বিচার যখন হচ্ছে তারা বলে এক লাখ ২৯ হাজার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটা মিথ্যা কথা। ২০১৮ সালে দেখেছেন ঠিক একইভাবে নির্বাচন বানচাল করার একটা নতুন কৌশল নিয়েছিল। সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটি আসন থেকে তাদের ৩ থেকে ৪ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল এবং শেষে পর্যন্ত নির্বাচনের দুই দিন আগে বলছে আমরা নির্বাচন করব না।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হউক, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক এটা বিএনপি এবং জামাতে ইসলাম চায় না। তারা কি চায়? তারা চায় বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হউক। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা পরিবর্তন করেছেন। এখন গণতন্ত্র এদেশে একটা রূপ নিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে যেই আগ্রহ তা দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে এটা নতুন নয়।’আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন বাঙ্গালীদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিএনপি-জামাত চেষ্টা করলেও তা পারবে না। এ দেশের জনগণ গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবে তারা ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক করবে এবং ভোট দিবে। তাই সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে ৩য় বারের মত নির্বাচন করছেন। আজ তিনি দিনব্যাপী উপজেলার বাদৈর, মূলগ্রাম ও মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় যোগ দেন। এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c87a2f40b, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিকল্পধারার মহাসচিব," নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট করেছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ ও নোয়াখালী-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী মেজর (অব.) এম এ মান্নান। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ শনিবার দুটি রিটই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর ফলে প্রার্থী হতে পারবেন না এম এ মান্নান।ইসির আইনজীবী এস কে শফিক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঋণখেলাপি হওয়ায় মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।’আবেদনের শুনানিকালে মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী।ঋণখেলাপির অভিযোগে মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন মান্নান। তবে আপিলেও তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে ইসি। পরে ইসির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক রিট করেন মান্নান। সে দুটি রিটও খারিজ হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না তিনি। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c86ad1c8f, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্য আটক," রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের প্রচারে বাধা দেওয়ায় জাকির হোসেন হিরু নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা চালানোর সময় জাকির হোসেন তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। জাকির হোসেন হিরু কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য। কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাকে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c8c85e687, আমাদের সময়, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বর্জনে এবি পার্টির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা," প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও অবৈধ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদী পদযাত্রা, উদ্বুদ্ধ করণ প্রচারণা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ গত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবারও বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে জেলখানায় বন্দী রেখে একদলীয় জালিয়াতির ও তামাশার নির্বাচন করা হচ্ছে। দেশ এক ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত। ব্যাংকগুলো সরকারি দলের লোক এবং আওয়ামী সুবিধাভোগীদের হাতে লুট হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং তা দেশের সকল সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। দুর্নীতির সকল সীমা ছাড়িয়ে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পরম সুখে আছে এবং দেশের বাকী সকল মানুষ মারাত্মক অভাবে আছে। নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে মানুষ যে কষ্টে আছে সে কথাও মুখ ফুটে বলতে পারছে না।’তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম পরিস্থিতিতে জনগণের রক্ত, ঘাম পানি করে দেওয়া ভ্যাট ও ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এই প্রহসনের নির্বাচন জাতির সঙ্গে একটি জঘন্য প্রতারণা। এই পাতানো ভোট চুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানাই।’তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের বন্ধু, স্বজন ও প্রতিবেশীদের সচেতন করুন। এই হঠকারী নির্বাচনে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদের বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। একদলীয় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, লেখনী ও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন।’কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম আগামী শনিবার বেলা ১২টায় প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ পদযাত্রা, আগামী রবিবার বিকেল তিনটায় প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে মানববন্ধনসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার অপি,সেলিম খান, আমেনা বেগম, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ খান রাসেল, আমিরুল ইসলাম নুর, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c30be35a43, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩,নির্বাচন কমিশনের বদনাম হবে," কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে এবং সময় যত ঘনিয়ে আসবে আরও ভালো হবে। উৎসবমুখর না হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বদনাম হবে। তারা মর্যাদা হারাবে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ ও দক্ষ হয়, তা হলে নির্বাচন আরও জমে উঠবে। নির্বাচন হচ্ছে ভোটারদের। তারা যদি সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে যায় ও ভোট দেয়, তা হলে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে।গতকাল রবিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কখনো কোনো কিছু নিয়ে আশঙ্কা করি না। এখনো করছি না। আমি মোকাবিলা করতে পছন্দ করি। নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে কিনা, সেই জন্য আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার বড়ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীও দাঁড়িয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যাক ভোট কেমন হয়?বিএনপি ছাড়া ভোট কেমন হবে- এ প্রশের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি ভোটে আসতে পারত। তবে আসে নাই। এটা ভোটাররা দেখবে, বিবেচনা করবে। রাজনীতিতে পাবলিকের প্রাধান্য থাকা দরকার। ভোটারদের প্রাধান্য থাকা দরকার। কে কি বলল, কে এলো না এলো তাতে কিছু যায় আসে না। তার চাইতে ভোটারদের প্রাধান্য ও ভোটার কি করছে তার প্রাধান্য থাকা দরকার।গত দুটি নির্বাচনে আপনার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইতে বাতিল হয়েছে, এবার সহজেই গ্রহণ হলো- এমন প্রশ্নে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সব সময় ষড়যন্ত্র থাকে। আমরা সব সময় উজান বেয়ে এসেছি। পাকিস্তান আমলে বেয়েছি। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে প্রতিবাদ করে তখনো বেয়েছি। এখনো বেয়ে চলেছি। তবে এবার প্রার্থিতা গৃহীত হওয়ায় আমার কর্মী-সমর্থকরা খুশি।এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন তার বড়ভাই সাবেক মন্ত্রী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়সহ সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সবার মনোনয়পত্রই বৈধ হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c8354d54112, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন ঘিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার চেষ্টা," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের জমায়েত ও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার খবর পেয়ে, সেখানে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। সোমবার রাতের অভিযানে এক কমান্ডারসহ ৪ আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং একটি বিদেশি পিস্তলসহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব ১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।অধিনায়ক সাজ্জাদ, নাশকতার খবরে পেয়ে র‌্যাব আরসা সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানা ঘিরে ফেলে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও ফাঁকা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় কমান্ডার মো. ইউনুস প্রকাশ মাস্টার ইউনুসসহ ৪ জন গ্রেপ্তার হয়। ইউনুস আরসার হিসাব শাখার প্রধান। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন ৪ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মফিজুর রহমান প্রকাশ মজিয়া (৩৮), একই ক্যাম্পের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. জাবের প্রকাশ আমানুল্লাহ (২৭), কুতুপালংয়ের ১ নম্বর ক্যাম্পের হাসু মিয়ার ছেলে এনায়েত উল্লাহ (২৬)।এদিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের সদস্যদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পৃথক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অস্ত্র-গুলিসহ ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন। গতকাল সোমবার রাতে উখিয়ার ৪ ও ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল। এ সময় ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১টি শটগান, ২টি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড কার্তুজসহ ৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আটককৃতরাহলেন ৩ নম্বর ক্যাম্পের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে মো. হানিফ (৩০), একই ক্যাম্পের আবদুর রশিদের ছেলে মনির আহমদ (৩৫), আবদুল মাবুদের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৩), আজিজুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (১৯) ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের রশিদুল্লার ছেলে জাহিদ আলম (২৭)।অন্যদিকে ৩ নম্বর ক্যাম্পের অভিযানে ২টি ওয়ান শুটারগান, ৯ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ ৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন ওই ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে হামিদ হোসেন (২৮), মো. ইসলামের কিশোর ছেলে মো. ইয়াছিন, মৃত বশির আহমদের ছেলে হাসিম উল্লাহ (২৭) ও জাহিদ হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২)।অধিনায়ক ইকবাল জানান, নাশকতার খবর পেয়ে এপিবিএনের একাধিক টিম গতকাল রাতে ৪ নম্বর ক্যাম্পে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরে রোহিঙ্গা ইউনুসের ঘরের পেছনের পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটকসহ উদ্ধার করা হয়। পৃথক অভিযানে ৩ নম্বর ক্যাম্পে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় পৃথক ২টি মামলা করে আটকদের সোপর্দ করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c835697ce1, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেননি জাপার প্রার্থীরা," খুলনার ৬টি আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রতীক পেলেও নির্বাচনী প্রচারে নামেননি। খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে পার্টি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুকে জোটের প্রার্থী না করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ বুধবার সকালে ডাকবাংলাস্থ পার্টি কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাপা এক জরুরি সভা আহ্বান করেছে। ওই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ননী গোপাল ম-ল ‘নৌকা’ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদ ‘লাঙল’ প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম ‘লাঙল’ প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির আল মামুন ‘লাঙল’ প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির ফরহাদ আহমেদ ‘লাঙল’, প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ণচন্দ্র চন্দ ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. শাহীদ আলম ‘লাঙল’ প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মো. রশীদুজ্জামান ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু ‘লাঙল’, প্রতীক পেয়েছেন। খুলনা ৬টি আসনেই জাপার প্রার্থী রয়েছে।খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম বলেন, খুলনা একটি বিভাগীয় শহর। এখান থেকে একজনকে জোটের প্রার্থী করার ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে জোর দাবি ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে খুলনার জাপাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে তারা কেউই প্রচারে নামেননি। এ ব্যাপারে কী করণীয় তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা জেলা ও মহানগর জাপা ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে খুলনা জাপা নির্বাচনে যাবে কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জেলা জাপার সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মধু খুলনায় জাপার অভিভাবক হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসারাদেশে জাপাকে ২৬টি আসন ছাড় দিয়েছে। কিন্তু বিভাগীয় শহর খুলনাকে এ হিসেবে বঞ্চিত করেছে। দলের জোরালো দাবি ছিল, খুলনা জেলার একটি আসন জোটের পক্ষে জাপাকে ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। এবার বড় আশা ছিল জোটের প্রার্থী হিসেবে দল খুলনা-৬ আসনে জাপাকে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। এতে খুলনার জাপার নেতাকর্মীরা চরম হতাশ হয়েছে। সেই জায়গা থেকে তারা এখনো প্রচারে নামেননি। আজ সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় তৃণমূলের সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন করব কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর যদি জোটগতভাবে খুলনা-৬ আসনে জাপাকে ছাড় দেওয়া হয়, তা হলে খুলনার জাপা নির্বাচনে আসবে।খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফরহাদ আহমেদ বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করা ঠিক হবে না। দল সাময়িকভাবে প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই তিনি প্রচার করছেন না। তবে পোস্টার-লিফলেট সবাই ছাপিয়েছেন বলে জানান তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c8354da4a14, আমাদের সময়, ২০ডিসেম্বর ২০২৩, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচন করা যাবে না," সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে পারবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলের নেতারা। সরকারের পদত্যাগসহ একদফা এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দফায় গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল শেষে নেতারা এ হুশিয়ারি দেন। তারা বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ এবারের নির্বাচন বর্জন করায় আওয়ামী লীগ ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন করছে।সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীতে মিছিল করেছে বিএনপি। এ ছাড়াও রাজধানীর বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, শান্তিনগর, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।হরতালের সমর্র্থনে সকালে মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিজয়নগর থেকে প্রেসক্লাবে মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুলইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। মঞ্চের নেতারা বলেন, তেজগাঁওয়ে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেওয়ার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাক ডাউন করতে চায়।এ ছাড়া হরতালের সমর্থনে পল্টন এলাকায় মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোট। এতে অংশ নেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব এমএ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ প্রমুখ। মিছিলে অংশ নেন জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারার প্রফেসর ড. নূরুল আলম বেপারী প্রমুখ।এদিকে সকালে বিজয়নগরে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নুর বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অস্তিত্বহীনতার আশঙ্কায় থাকলে প্রয়োজনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার হতে পারে। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও হরতাল সমর্থনে পল্টনে মিছিল করেছে এবি পার্টি।এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশিরের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে। এ ছাড়াও হরতাল সমর্থনে মিছিল করেছে গণফোরাম (মন্টু), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল, সমাবেশ ও পিকেটিং করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c83530dbc15, আমাদের সময়, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, আরও ৭ জেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৫০," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল আরও ৭ জেলায় সহিংসতা ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং একই দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষ ঘটছে। প্রতীক বরাদ্দের আগেও রাজশাহী ও পিরোজপুরে সহিংসতা ঘটে। এতে একজনের প্রাণহানি ঘটে। গতকাল নেত্রকোনার কেন্দুয়া, রাজশাহীর বাগমারা, যশোরের বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, ফেনী ও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ব্যুরোপ্রধান, নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑরাজশাহী-৪ আসনের বাগমারার চারটি স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাঁচি প্রতীক) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির কর্মীদের ওপর হামলা, পোস্টার লুট ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ১৮ জন আহত হন। উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আঁচিনঘাট, যাত্রাগাছী, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাটদামনাশ, তাহেরপুর পৌর এলাকার অর্জুনপুর মহল্লায় এসব ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রার্থী এনামুল। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নৌকা ও কাঁচি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাসকা বাজারে প্রতীক বরাদ্দের দিন রাত ৮টার দিকে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর সমর্থকদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। এ ঘটনার পর কেন্দুয়া সদরেনৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়। নৌকার সমর্থকরা সশস্ত্র অবস্থান নিলে মার খেয়ে ট্রাক সমর্থকরা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। যশোর-১ আসনের বেনাপোলে নির্বাচনী প্রচারকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা অওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটনের ওপর হামলায় ১০ জন আহত হন।জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সমর্থক মিঠু মিয়ার সঙ্গে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থক লুৎফর রহমান নতুর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিন রাত ৮টার দিকে ঈগল মার্কার সমর্থক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডাার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্লা তপদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ফরিদগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার সময় সন্তোষপুর গ্রামে নিজ বাড়ির গেটের সামনে এ হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাবীদ হাসান, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপ ওই রাতেই আব্দুল হান্নানকে তার বাড়িতে দেখতে যান।ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নৌকার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ফেনী পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৩ জন আহত হন। গতকাল রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হলেনÑ কামরুল হাসান রাব্বি, কাওসার আহমেদ অপু ও নুর আলম।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c82affab6, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে: এডিবি," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের ডিসেম্বর সংস্করণে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।এডিবি মনে করে, উৎপাদন কমে যাওয়ায় রপ্তানির ধীরগতি, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসংকট এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কম হবে হলে মনে করছে সংস্থাটি।এর আগে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পূর্বাভাসে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল এডিবি। তবে নতুন পূর্বাভাসে জিডিপি কত হবে সে বিষয়ে বলা হয়নি। প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি বাংলাদেশে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ারও আভাস দিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির দাবি, নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় দুই অঙ্কের ঘরের কাছাকাছি ছিল।সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, বাজারভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্যের দাম কম থাকলেও মূল্যস্ফীতি কমতে পারে বলে মনে করছে এডিবি। এ ছাড়া ফসলের ভালো ফলন হলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে বলেও মনে করে সংস্থাটি। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c822cbfa7, আমাদের সময়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে। তাদের উচিত ছিল নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তারা নির্বাচনে না এসে রাজনৈতিকভাবে বড় ভুল করেছে। তারা বরং বিদেশি দেশগুলোর কাছে নালিশই দিচ্ছে। এ জন্য বিএনপি হচ্ছে নালিশপার্টি।’আজ মঙ্গলবার নগরীর ধোপাদিঘির এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিএনপি নির্বাচন নস্যাৎ করতে যা যা করার তা করছে। তারা আগের মতো অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে প্রমাণ করতে হবে দেশবাসী তাদের সঙ্গে নেই।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক লোক সিলেট-১ আসনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা সিলেট-১ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট ফেলতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো। সিলেট-১ আসনের দিকে সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে সারাবিশ্বকে প্রমাণ করতে হবে আমরাও পারি। আমরা বিজয়ের জাতি।’ড. মোমেন বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আসছেন। আমরা ভালো উপস্থিতি দেখাতে চাই। কারণ শেখ হাসিনার অনুগ্রহে সিলেটের এতো উন্নয়ন হয়েছে। সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কারণে।’নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c401733f2, আমাদের সময়, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, সরকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা নাটিকা রচনা করবেন: রিজভী," আগামী ৭ জানুয়ারি ‘তামাশার নির্বাচন’কে কেন্দ্র করে সরকার নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির পক্ষে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, মানবাধিকার দিবসে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্য নাকি তার কাছে রয়েছে। আসলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের সাংবাদিক সম্মেলন যেন চিত্তকর্ষক কমিডি শো এবং তিনি হচ্ছেন যোগ্য হোস্ট। গোয়েন্দা তথ্যের উৎস কি সুধা সদন নাকি গণভবন? আসন্ন তামাশার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবেন তার আভাস পাওয়া যায় এসমস্ত কথায়।’বিএনপির ত্যাগী কাউকে হালুয়া রুটির লোভে রাজদলে ভাড়া করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গুটি কয়েক উচ্ছিষ্ট পূর্ব থেকে দল বিতাড়িত কিছু গণধিকৃতকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগানোর দলে পরিণত হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন মাফিয়াদের বর্তমান আস্তানা গণভবনের দিকে ছুটছে। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই হাস্যকরভাবে আকুতি জানাচ্ছেন সংসদে যাওয়ার জন্য।’ রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার তার রেজিমের প্রধান বিরোধীদল বানিয়েছেন সেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি। কী ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট। শেখ হাসিনার আর্শীবাদ ছাড়া দেশে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।’ রিজভী আরও বলেন, ‘যারা এই পাতানো সিলমোহরের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বা প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতা করছেন তাদেরকে আমি বিএনপির পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদের যদি নূন্যতম দেশপ্রেম থাকে, যদি মনুষ্যত্ব থাকে, বিবেক বিবেচনাবোধ থাকে তবে ফিরে আসুন। আপনারা মীরজাফরের উত্তরসূরী হবেন না। ১৮ কোটি মুক্তিকামী মানুষের ঘৃণা রুদ্ররোষের শিকার হবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগ-বাটোয়ারার পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোন সহযোগিতা করবেন না। ভোটাররা ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় এই অমার্জনীয় অপকর্মের জন্য জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম বেইমান-মীরজাফরের পাশে উৎকীর্ণ থাকবে। আপনাদের একদিকে স্বাধীনতার পতাকা অন্যদিকে নাতসীবাদী স্বৈরাচার-গোলামীর জিঞ্জির। আপনারা দেশপ্রেম ও ইমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার চেষ্টা করুন।’বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানা যুবদল নেতা আফজাল হোসেন সোহেলকে গত কয়েকদিন আগে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছেলের গ্রেপ্তারের কথা শুনে তার পিতা সাবেক রেল চালক দেলোয়ার হোসেন স্ট্রোক করে সাতদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা এই ধরণের ঘৃন্য ও অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিহত দেলোয়ার হোসেনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’অবিলম্বে মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের ফরমায়েশী সাজা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মোহাম্মদ এরশাদুল, মো. জুনাইদ, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মো. মিজানুর রহমান টিপুকে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ২ বছর ৩ মাস ফরমায়েশী রায়ে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।’ বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেশকাত হোসেনকে গত ৪ নভেম্বর পান্থপথ মোড় থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমি মেশকাতকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। খুলনা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল হোসেন গাজীকে তার নিজ বাসা থেকে র‌্যাব-৬ পরিচয়ে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যশোর নগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়ির ফটক ও দোকানের সাটার ভেঙ্গে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। রামনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মারুফ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং বাসা থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও নগর যুবদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফের বাড়িতে অভযান চালিয়ে দুইটি মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পরিবারের লোকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। একই সময়ে নগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য আবুল কাশেম কালু, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, রোহিতা ইউপি ছাত্রদলের সভাপতি আল মামুন পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিয়াম খানসহ অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।’গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩৬০ জনের অধীক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে ৯৫৪টির অধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ৮৪ হাজার ২২৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় একজন সাংবাদিকসহ ২০ জন নেতাকর্মী নিহত এবং ৮ হাজার ৭৬৪ জনের অধিক আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৭টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ৬১৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c43f30bae, আমাদের সময়, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে: ডিবির হারুন," আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মানববন্ধনের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মেনে নির্বাচনে না এসে, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল। তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।’আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মানববন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অনুমতি নিয়েছে কি না বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মেনে তারা যেহেতু নির্বাচন করছে না। সেহেতু নির্বাচন কমিশনকে তারা তোয়াক্কা করবে কেন।’অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। তারাই কিন্তু এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে।’বিএনপি যদি অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করা চেষ্টা করে। তখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে জোর করে বিভিন্ন মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাদের গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নেই।’হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের ক্ষতি যেনো কেউ না করতে পারে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি নিয়মিত কাজ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c7d4f7531, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩," বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার চাপ দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর"," গোয়েন্দা সংস্থার নাম দিয়ে ফোন করে একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন।আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহীন ইমরান থেকে ‘ঈগল’ প্রতীক বরাদ্দ পান তানভীর আহমদ। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এমন অভিযোগ করেন। তানভীর আহমদ কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে।তানভীর আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে উদ্বেগ আছে, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ফোন দিয়ে একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। অভিযোগগুলো আমরা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাব। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অনুসন্ধান কর্মকর্তাকেও জানাব। উদ্বেগ আছে, তবে আমরা বিচলিত নই।’তিনি আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করে ফোনগুলো করা হচ্ছে। যেহেতু গোয়েন্দা সংস্থার নাম দিয়ে ফোন করা হচ্ছে, সেহেতু দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। আমি চাই গোয়েন্দা সংস্থারাও এ বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। আসলেই কী গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ফোন করা হচ্ছে, নাকি তৃতীয় কোনো পক্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিতর্কিত করার জন্য এসব করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা চাই মাঠে নির্বাচনের পরিবেশ থাকুক।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c7cb520d1, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী: রিজভী," বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকে রেখে সরকারের একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ফাঁস করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গতকাল রবিবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিট ভাগাভাগির নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন, কণ্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে- এমনকি একরাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাবও তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি।’তিনি বলেন, ‘আমরা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য থেকে একটি কবিতা পড়তাম। আমাদের পাঠ্য কবিতার প্রথম লাইনটি ছিল, ‘‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে’’। কিন্তু এখানে আমরা একটু পরিবর্তন করে বলতে চাই, এতক্ষণে ড. আব্দুর রাজ্জাক কহিলেন হরষে অত্যন্ত আনন্দের সাথে। এই হরষের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড করে পুলিশ তান্ডব-হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা-মিথ্যা মামলা- গ্রেপ্তার-হুলিয়া-হত্যা-বিএনপিসহ বিরোধী দলের বাড়ি-ঘরে হামলা-তল্লাশি-ভাঙচুর-গৃহছাড়া-আটক-বাণিজ্য সব কিছু শেখ হাসিনার পূর্বপরিল্পিত।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এই প্রভাবশালী মন্ত্রী (ড. রাজ্জাক) হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন যে, দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-প্রশাসন, কোট-কাঁচারি, বিচার-আচার সব কিছুই আওয়ামী মাফিয়া সরকারের হাতে বন্দী। বিচারব্যবস্থা আর আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে। পৃথক কোনো সত্তা নেই, দেশে কোনো আইন নেই, সব কিছু শেখ হাসিনার ইশারায় চলছে।’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লক্ষ মামলা দায়ের আর অর্ধ-কোটি আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনার নির্দেশে। কারাগারে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে সরকারের ব্লুপ্রিন্টে। বিনা কারণে বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার, নির্বিচারে বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলোর নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক ও নির্যাতন, ইচ্ছামাফিক জেল ও জামিন বিচার বিভাগের অস্তিত্বকেই বিলিন করে দিয়েছে।’বিচার বিভাগ আইনের গতিতে চলছে না বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ আইনের গতিতে নয়, চলছে গণভবনের গতিতে, শেখ হাসিনার নির্দেশ মতো গতিতে, তিনি এর মোমেন্টামটা ধরে রেখেছেন। গণভবন যে গতিতে চাইবে, যেভাবে বলবে, বিচার বিভাগের গতি তাই থাকবে।’ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, প্রতিথযশা সাংবাদিক ও লেখক এম জে আকবর বাংলাদেশে এসে গতকাল (রবিবার) এক সেমিনার শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারত কী তাহলে বাংলাদেশের জনগণকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আঁকড়ে রাখতে চায়? এম জে আকবর বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে অবজ্ঞা করার শামিল। এম জে আকবরের মন্তব্য কর্তৃত্বসূলভ ও বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছাকে অসম্মান করা বাংলাদেশ কোনো স্যাটেলাইট স্টেট নয়। বাংলাদেশের জনগণ কোনো দেশের প্রোটেক্টটরেট নয়।’রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা বঞ্চিত। চলমান আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের মালিকানা জনগণকে ফেরত দেওয়া।’তিনি বলেন, ‘আমরা তো ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাই না। বাংলাদেশি নাগরিকরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সমমর্যাদার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করে। আপনি একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক ও বিদগ্ধজন। জনগণ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের ভোট চুরির দোসর হবে না ভারত। প্রতিবেশী হিসেবে এদেশের ১৮ কোটি জনগণের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের পক্ষে দাঁড়াবেন এটাই এদেশের মানুষ কামনা করে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c79af17fe12, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, সরকারপন্থি ছাড়া কোনো দল অংশ নেয়নি নির্বাচনে : নজরুল ইসলাম খান," সরকারপন্থি ছাড়া কোনো দল ‘পাতানো নির্বাচনে’ অংশ নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।নজরুল ইসলাম বলেন- খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা। অবাক লাগে, এ ভোটের জন্য শীতের দিনে মিছামিছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। তারা কী করবে? নির্বাচনে সরকারি দল, ১৪ দলীয় জোট, মহাজোটসহ তাদের তৈরি করা কয়েকটা দল অংশ নিচ্ছে। এসব না করে ভালো হতো, চারজন প্রার্থী চারটাই নৌকার। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c78386020, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, সরকারপন্থী ছাড়া কেউ ‘পাতানো’ নির্বাচনে নেই: নজরুল ইসলাম," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা। অবাক লাগে, এই ভোটের জন্য শীতের দিনে মিছামিছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। তারা কী করবে? সরকারপন্থীরা ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল সরকারের ‘পাতানো’ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এখানে অংশ নিচ্ছে সরকারি দল ও তাদের ১৪ দলীয় জোট, মহাজোট এবং তাদের তৈরি করা কয়েকটা রাজনৈতিক দল। এ সব না করে ভালো হতো চারজন প্রার্থী চারটাই নৌকার। এই গরিব দেশের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করছেন?’আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।এক রাতেই সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরে ভাই, বিএনপি এরকম খেলায় যায় না। আপোষের কোনো জায়গা নেই গণতন্ত্র ও দেশ শাসনের প্রশ্নে। জনগণ যেটা সমর্থন করবে সেটা আমরা করব। সেই গণতন্ত্র না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলছে এবং চলবে।’বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গায়েবি মামলায় সাজা দেওয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন-হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঢাকা শহরে পুলিশবাদী মামলায় পুলিশের সাক্ষীতে গত দেড় মাসে কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের অপরাধ তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। আমরা এই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গায়েবি মামলার শিকার হতে হচ্ছে, দন্ডিত হতে হচ্ছে এবং পলাতক জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। আমি হতাশ নই কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হলে এই দূরাবস্থাটা দেখতে হতো না।’বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ বারবার ধ্বংস করছে। কখনো নিজেরা করেছে কখনো অন্যদের দিয়ে করেছেন। কিন্তু বারবারই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। গণতন্ত্র আবার খাদে ফেলা হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বপ্ন দেখি, গণতন্ত্র আবার আমরা ফিরে পাব বিএনপির নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অন্যতম নেতা ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আবদুল হাই শিকদার, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, অধ্যাপক কামরুল আহসান, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c78c7bfc69, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বরিশালে নির্বাচন অফিস ঘেরাও পুলিশি বাধায় পণ্ড," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় প- হয়ে গেছে।রবিবার দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোট নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বাম জোটের মিছিল লাইন রোডের মুখে গেলে শত শত পুলিশ এসে মিছিলকে অবরুদ্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাক্কা দেয় ও ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন জোট নেতারা। পরে সেখানেই একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বাম জোট।এ সময় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশসমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার অধিকার থাকলেও আমাদের তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক দুলাল মজুমদার ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ প্রমুখ।কোতোয়ালি থানার ওসি আরিছুল হক বলেন, বিক্ষোভকারীরা অনুমতি না নিয়ে রাস্তা আটকে মিছিল করেছে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে বলা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c78c7bfc69, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, বরিশালে নির্বাচন অফিস ঘেরাও পুলিশি বাধায় পণ্ড ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় প- হয়ে গেছে।রবিবার দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোট নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বাম জোটের মিছিল লাইন রোডের মুখে গেলে শত শত পুলিশ এসে মিছিলকে অবরুদ্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাক্কা দেয় ও ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন জোট নেতারা। পরে সেখানেই একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বাম জোট।এ সময় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশসমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার অধিকার থাকলেও আমাদের তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক দুলাল মজুমদার ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ প্রমুখ।কোতোয়ালি থানার ওসি আরিছুল হক বলেন, বিক্ষোভকারীরা অনুমতি না নিয়ে রাস্তা আটকে মিছিল করেছে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে বলা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c78c7bdd17, আমাদের সময়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে : জাকের পার্টি," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভাগাভাগি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব কাজী মো. রাশেদুল হাসান। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি। রাশেদুল হাসান ঢাকা-১৭ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন। এ দিন বেলা দেড়টার দিকে তিনিসহ জাকের পার্টির আরও তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বাকি দুজন হলেন- ঢাকা-১৮ আসনের শরীফ হোসেন এবং ঢাকা-৬ আসনের তরিকুল ইসলাম। এর আগে সকালে জাকের পার্টির ১০ জন ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।রাশেদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তার দল ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। বিভিন্ন কারণে কিছু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ২১৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ হয়েছিল। তারা ভেবেছিলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা গেল, নির্বাচনটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে।রাশেদুল হাসান আরও বলেন, জাকের পার্টির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে তিনি তার দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। জাকের পার্টির বেশিরভাগের প্রার্থিতা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার হয়ে গেছে। কয়েকটি আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী থাকবেন কিনা- তা দলের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ জানে।জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেছেন, আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি না। কিছু আসনে যাতে পুরো মনোনিবেশ করা যায়, সে জন্য ২০০-এর বেশি আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। ৭ থেকে ৮টি আসনে তাদের প্রার্থী থাকবেন, যেখানে তারা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c77d4071e, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি ৪০ বিশিষ্টজনের," সংসদ ভেঙে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪০ বিশিষ্টজন। আজ রবিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ৭ জানুয়ারি একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সরকার/নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নির্বাচনের আগে নির্বিচারে মামলা, গ্রেপ্তার, বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রদান ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন এমনকি রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে কেবল তাদেরই ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর প্রার্থীদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ফলে এই নির্বাচনে পছন্দমতো যথার্থ বিকল্প বেছে নেওয়া থেকে দেশের নাগরিক বঞ্চিত হবেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের ফলে সরকারের জবাবদিহিতা বিলীন হয়ে যায়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পড়ে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে এবং আইনের শাসন ও সুশাসন সুদূরপরাহত হয়ে পড়ে। আমরা অবিলম্বে সকল দলের অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশন/সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ লক্ষে তপসিল বাতিল করে সংবিধানের ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান জানাচ্ছি।তফসিল পেছানোর পক্ষে বিবৃতিদাতারা বলেন, এ পদক্ষেপ নেওয়া হলে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন, সমঝোতায় পৌঁছান, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি/জামিন প্রদান এবং নতুন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের পর্যাপ্ত সময়-সুযোগ পাওয়া যাবে। এ ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে একতরফা নির্বাচনের লক্ষে বিরোধী দলের প্রতি দমননীতি অব্যাহত রাখলে সরকারের বৈধতার সংকট থেকে যাবে, সমাজে ক্ষোভ ও বিরোধ বৃদ্ধি পাবে এবং রাষ্ট্রের শক্তি, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ বিপর্যস্ত হবে।বিবৃতিদাতারা হলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব সৈয়দ ড. মারগুব মোর্শেদ, মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবিএম সিরাজুল ইসলাম, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, অ্যাডভোকেট ড. শাহদীন মালিক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খানসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c72a8d5e6, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মমতাজকে শোকজ," নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী তদন্ত কমিটি।আজ শনিবার মানিকগঞ্জ-২ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ রেজমিন সুলতানার সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মমতাজকে পাঠানো হয়।চিঠিতে বলা হয়, আপনি সংসদীয় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সমাবেশের মাধ্যমে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে হওয়ায় তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হচ্ছে।এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হবেন অথবা আপনার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেবেন।২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মমতাজ বেগম।উল্লেখ্য, জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c76db9f08, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘এক রাতে সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও নির্বাচনে আসেনি বিএনপি’," দেশকে স্থিতিশীল রাখতে পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।এ সময় এক রাতে সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও দলটি নির্বাচনে আসতে রাজি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন আজ রবিবার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়।সাক্ষাৎকারে সহিংসতা আটকাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে জেলে ভরে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০ হাজার (বিএনপি নেতাকর্মী) গ্রেপ্তার না করলে আজকে এই যে গাড়ি চলতেছে হরতালে, আপনি কি রাস্তায় গাড়ি দেখতেন? এ ছাড়া আমাদের জন্য কোনো গত্যান্তর ছিল না, কোনো অলটারনেটিভ (বিকল্প) ছিল না। যেটা করেছি, আমরা চিন্তাভাবনা করে করেছি।’তবে কী সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে কিছুই করেনি আওয়ামী লীগ? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‌‘বিএনপিকে ভোটে আনার সব চেষ্টাই হয়েছে। এক রাতে সব নেতাদের মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি দলটি। ’তিনি আরও বলেন, ‘বারবার বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে যে তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। শুধু পিছিয়ে দেওয়া না, বলাও হয়েছিল সবাইকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাদেরকে জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যেত। ’সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c73c6826911, আমাদের সময়, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, এখনো বিশ্বাস করি নির্বাচন হবে না," নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন অনেকটা একতরফাভাবেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শেষ পর্যন্ত একতরফাভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘমেয়াদে গভীর সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এখনো বিশ্বাস করি, এ নির্বাচন হবে না। গত বৃহস্পতিবার মহাখালীর নিজ বাসায় দৈনিক আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত হন অলি আহমেদ। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠনেও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে থেকে বিশেষ অবদান রাখেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও খালেদা জিয়ার পাশে থেকে রাজপথে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে এলডিপি নামে নতুন দল গঠন করেন। বর্তমানে এলডিপি যুগপৎ ধারায় বিএনপির সঙ্গে সরকারের পদত্যাগসহ একদফা এবং একতরফা তফসিল বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে।অলি আহমেদ তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং অর্থনীতি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন ও তাদের আন্দোলনসহ নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন।৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে অলি আহমেদ বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এক কথায় বলতে গেলে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এখানে ৩শ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের শরিকদের মধ্যে হয়তো ৩০-৪০টি আসন বণ্টন করে দেবে। অবশিষ্ট আসন তাদের প্রার্থীদের জন্য রাখবে।’এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, পারিপাশ্বিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে, কে কোন আসন থেকে নির্বাচিত হবেন তা-ও ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সাধারণ ভোটারদের কোনো অংশগ্রহণ ও তাদের মতামতও থাকবে না। এটা কোনো নির্বাচন নয়, ভাগাভাগির ছেলেখেলা। নির্বাচন কমিশন শুধু আওয়ামী লীগের নির্দিষ্ট করা প্রার্থীদের নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করবে। ইসির হাতেও কোনো ক্ষমতা নেই। এ নির্বাচনকে কোনো অবস্থায় অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। এটা একটি একতরফা নির্বাচন।এই একতরফা নির্বাচন জাতিকে গভীর সংকটে ফেলবে বলে মনে করেন অলি আহমেদ। তিনি বলেন, একতরফা এই নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশ এবং দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতি আরও গভীর সংকটে পড়বে। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের খোঁড়া গর্ত বলে মনে করেন তিনি। বলেন, এ গর্তে তারা নিজেরাই নিপতিত হবে। পরিস্থিতি এমন হবে, তাদের ছেলেমেয়ে পরিবার-পরিজনও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারবে না।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতার জটিলতা এবং জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নানা গুঞ্জন নিয়ে অলি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সম্পর্কে অনেক গুঞ্জন শোনা যায়। তাদের সম্পর্কে আগাম কোনো মন্তব্য করা খুব কঠিন। তারা কখন কী ঘটায়, তা বলা খুবই দুষ্কর।তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে- এ বিষয়ে অলি আহমেদ বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে; এখনো আমি বিশ্বাস করি না।’ এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং অপরাপর বড় বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। ভোট বর্জনকারী এসব দল ভোটারদের ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। আমিও মনে করি, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা এবং দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকা উচিত। এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন হলে সেখানে সরকার ও বিরোধী দলে কারা থাকবে তা জাতির কাছে স্পষ্ট বলেও মনে করেন অলি আহমেদ। তিনি বলেন, এখানে নির্বাচন হচ্ছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ। সেখানে তারাই সরকার গঠন করবে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী দল হবে সরকারের কিছু গৃহপালিত; যাদের তারা টাকাপয়সা দিয়ে কিনে নিয়েছে।’দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জনগণ এবং বন্ধুরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশে^র কাছে নিজের বিশেষ আবেদন তুলে ধরেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আশা করি, জনগণ দেশের প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করবেন এবং নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেন না। এখনই সময়, সব দেশপ্রেমিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যুব সমাজের প্রতি আহ্বান থাকবে, একদলীয় আওয়ামী বাকশালীদের অবসান ঘটিয়ে দেশকে রক্তপাত ও দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করা। অন্যথায় আমাদের সবাইকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে, যা হবে খুবই ভয়ানক। এ ছাড়াও আল্লাহর কাছেও আমাদের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলেই কেবল মানুষের জীবনে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য এবং মুক্তি আসবে।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কোন দেশের গুরুত্ব কতটুকু সে বিষয়ে বলতে গিয়ে কর্নেল (অব) অলি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত অধিকাংশ দেশের ওপর নির্ভরশীল। এসব দেশে আমাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ হচ্ছে ভারত ও চীনের বড় বাজার। এসব দেশ কিন্তু আমাদের থেকে তেমন কিছু আমদানি করে না। শুধু বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে বছরে যায় দেড় কোটির বেশি মানুষ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, কোনো ব্যক্তি বা দলকে সমর্থন না দিয়ে একইভাবে চীন এবং ভারতেরও উচিত হবে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে একদিন না একদিন দেশাত্মবোধ জেগে উঠবে। আমি কোনো দেশ বা দলের অমঙ্গল কামনা করি না। অনুরূপভাবে আমি মনে করি, কোনো দেশও যেন আমাদের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজে অংশগ্রহণ না করে।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও অলি আহমেদ চলমান আন্দোলনের সফলতা দেখতে পান। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি মদদ আসবেই; কেউ না কেউ দেশের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবে এবং জনগণের বিজয় হবে। ঘৃণা বা প্রতিশোধ নয়, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ ভোটবর্জনকারী সব দলকে নিয়ে একমঞ্চে আন্দোলন করা প্রসঙ্গে এলডিপি প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে সব দলের শক্তি যদি এক জায়গায় হয়, এতে আন্দোলন আরও শক্তিশালী ও বেগবান হবে। সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত হবে। আমাদের মূল ঐক্য হওয়া উচিত আওয়ামী বাকশালীদের পতন। এই ঐক্য গড়তে যদি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা শর্তারোপ করা হয়, তা হলে পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগকেই সাহায্য করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6d465f74, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে: মাহবুব," বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে। তারা ভাগাভাগি করে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে। এসব করে কোনো লাভ হবে না, সরকার পার পাবে না।’আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) উদ্যোগে এ আলোচনাসভায় আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুব।মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘১৫ বছর এভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তারা ধ্বংস করে একতরফা সাজানো নির্বাচন করেছে। এবার তারা একতরফা ভাগাভাগির নির্বাচনের পথে হাঁটছে। জনসমর্থন ‘না থাকায়’ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চায় না। প্রতিদিন গণমাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারার খবর প্রকাশ হচ্ছে। কতটা দেউলিয়া হলে আওয়ামী লীগের মত একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল আজকে এই ধরনের ভাগাভাগি নির্বাচনের নীলনকশা ধরে এগোচ্ছে।’কৌশল করে টিকে থাকা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যত কৌশল করুক না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে চলে যেতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন; বিএনপির আন্দোলন নয়, গণঅধিকার পরিষদের আন্দোলন নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের একক আন্দোলন নয়। এটা ভোটাধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন।’তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। এই নির্বাচন করে তারা শেষ রক্ষা পাবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো স্বৈরাচারই টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবে না।’আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c70b5635f, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী," স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘যদি কেউ ১৮ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মেনে আইনলঙ্ঘন ও সহিংসতা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না-এমন নির্ধেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজয় আনন্দ প্রকাশ করতে মানা করছি না। তবে সংযতভাবে চলতে হবে; শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে হবে। কিন্তু ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির বিজয় র‌্যালি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বিজয়ের মাস, বিজয়ের দিন, এজন্য কাউকে আমরা মানা করছি না বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করতে। তবে নির্বাচনে বাধা, নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা, প্রচার করা এগুলো থেকে তাদের বিরত থাকতে হবে।’তিনি বলেন, ‘তাদের বলা হয়েছে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে বিজয় র‌্যালি করার জন্য। সে অনুযায়ী আমাদের ডিএমপি কমিশনার তাদের অনুমতি দিয়েছেন। যাতে শান্তিপূর্ণ একটি র‌্যালি করা যায়। তারা স্থান উল্লেখ করেছেন এবং সেটি যেন অনুসরণ করেই তারা করেন।’এদিকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনবিরোধী যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সে অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c722c4171, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীরাই দুভাগে বিভক্ত," ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩ আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ইতোমধ্যে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। আলাদা দুইটি পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারা। এছাড়াও একজন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক স্বতন্ত্রভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে রয়েছেন। এদিকে নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।জানা যায়, ১৫টি পদের বিপরীতে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বিএনপিপন্থী মতাদর্শের শিক্ষকগণ। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকগণ নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়েই লড়ছে নির্বাচনে। কিছুদিন পূর্বে শাপলা ফোরামের নির্বাচনে এক হয়ে আওয়ামীপন্থীরা প্যানেল দিলেও শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পদ দখলের অভিলাষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা।গত মঙ্গলবার নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে দেখা যায় আওয়ামীপন্থীদের দুইটি, জামায়াতপন্থীদের একটি পূর্ণ প্যানেল এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ১৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রার্থীতা করবেন ৪৬ জন।শিক্ষকদের দাবি, শাপলা ফোরামের এই বিভক্তির জন্য শিক্ষক নেতাদের মতামতের অমিল, প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতার অভাবই দায়ী। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শাপলার দুই পক্ষের সাথে আলোচনা হলেও সমঝোতা সম্ভব হয়নি। তারা মনে করে, শিক্ষক রাজনীতি বর্তমানে আগের মত অবস্থানে নেই। এটা গ্রুপিংয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে নেতাদের গ্রুপিংয়ে একই আদর্শের অন্য শিক্ষকরা বিপাকে পড়ছেন। আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। গত শনিবার রাতে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমীন ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো.আব্দুস সামাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের পরামর্শের আলোকে আসন্ন ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩ এ অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ইবি জিয়া পরিষদ। এছাড়াও জিয়া পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।শাপলা ফোরামের সদস্যবৃন্দের মনোনীত প্যানেল দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চূড়ান্ত একটি প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণা দেখা যায়। ওই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী শাপলা ফোরামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত অধ্যাপক. ড. আনোয়ার হোসেন।তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের আলোচনার আগে থেকেই পূর্ব পরিকল্পনা করেছে যে, সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উভয় পদই তাদের রাখতে হবে এবং তাদের সামনে কোনো হীনউদ্দেশ্য আছে, যা তারা বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা বারবার সমঝোতার কথা বলেছি কিন্তু তারা দুইটা পদের একটিও ছাড়বে না। যেহেতু শাপলা ফোরামের সভাপতি এখনো আশা রাখছে আমরা কেন নিরাশ হব। তবে আওয়ামী পন্থীদের ঐকের জন্য শাপলা ফোরামের সভাপতিকেই এগিয়ে আসতে হবে।’অন্যদিকে শাপলা ফোরাম দাবি করা অন্য একটি পক্ষের সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমাকে শাপলা ফোরাম থেকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি এটাই বিশ্বাস করছি, সবাই আমাদের প্যানেলকেই ভোট দিবেন। আমিও চেষ্টা করেছিলাম একসঙ্গে একটি প্যানেল দেওয়ার জন্য। আসলে আদর্শে কোনো বিভক্তি কাম্য নয়।’আওয়ামীপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত হওয়া শাপলা ফোরামের কার্যনিবার্হী পরিষদ নির্বাচনে কতিপয় সদস্যের সরাসরি ভোট অংশগ্রহণ না করে পেছন থেকে দলকে ব্যবহারের অভিলাষ থেকেই আমার মনে হয়। শাপলা ফোরাম শিক্ষক সমিতিতে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল করতে ব্যর্থ হয়েছে। যাদের কারণে এই বিভক্তি আর এর পেছনের ব্যক্তিদের অচিরেই আপনারা শিক্ষক সমিতির ভোট প্রার্থনায় লক্ষ্য করতে পারবেন।’শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মান বলেন, ‘আমি শাপলা ফোরামের সভাপতি হিসেবে মনে করছি এখনো আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারব। এখনো ঐক্যের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত রয়েছে। আমি এখনো শাপলা ফোরামের নেতৃত্বে থাকা দায়িত্বশীল সকলের কাছে থেকে অবশ্যই ঐক্যের আশা রাখছি। আমার জানা মতে সবাই ঐক্য চায়। এখন নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের মতো করেই ঐক্য করবে আমি আশাবাদী, আমার কোনই আপত্তি নাই।’সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। তিনটা প্যানেল এবং একজন স্বতন্ত্র আসলে বিষয়টা এমন না, ইচ্ছে করলে সকল শিক্ষকই ভোটে দাঁড়াইতে পারতেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। দলীয় অংশগ্রহণ আমরা প্রত্যাশা করি না এমনটা বলব না, আসলে সেভাবে বিবেচনা করি না। তবে প্রত্যেক মানুষেরই একটা দলীয় পরিচয় আছে, ওই হিসেবে একই পরিচয়বাহক দুইটি দল রয়েছে কি বিষয়? তবে প্যানেল প্রত্যাহার করার সময় শেষ হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত সমঝোতা তাদের নিজ নিজ ব্যাপার।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c7320e8ba, আমাদের সময়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন জনগণ মানে না: গণতন্ত্র মঞ্চ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে হচ্ছে দাবি করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনগণ এই নির্বাচন মানে না। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে আয়োজিত জরুরি সভায় এ কথা বলেন জোটটির নেতারা।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামীকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ’ কর্মসূচি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া প্রমুখ।সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ করার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেটা অসাংবিধানিক ও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। এই নির্দেশনা জারি জনগণ মানবে না। গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণের সাংবিধানিক অধিকারে এই নতুন করে আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে যাবে।’সভায় আগামীকাল সমাবেশের পাশাপাশি ১ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসাবে আগামী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c696569023, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নয় বানরের পিঠা ভাগাভাগি হবে," আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের ফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে বানরের পিঠা ভাগাভাগি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঈন খান এ মন্তব্য করেন। এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘রাজধানীতে ভোটের সিট ভাগাভাগি করে যে ফল নির্ধারণ করা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি সেই ফল শুধু ঘোষণা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা সরকারের কাছে এই আবেদন করছি, আপনারা সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তাই রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিন।’এদিকে শহীদ বুদ্দিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল ভোরে সারাদেশে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। মিরপুর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে হয় আলোচনাসভা। সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6dc3ed1e, আমাদের সময়, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচনের পর সরকার টিকবে কি না, শঙ্কা মঈন খানের"," বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই, রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলছে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার। আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাব। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনের পর সরকার ৫ দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টেকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে।’আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট‘ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার মুখে যা বলে কাজে তা করে না। কাজে যা করে তা বলে না। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে পরিচয় দেয়। বিএনপিকে বলে সন্ত্রাসী দল। তারা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বারবার বিভ্রান্ত করছে। তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তবে এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হলে পায়ের মাটি কখন সরে যায় টের পাওয়া যায় না।’বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, ‘এই সরকারের মিথ্যাচার নিজেরাই বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে ক্ষমতায় যেহেতু আছে নির্বাচনের দরকার কী? কোনো সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরলে সেই সরকার স্বৈরাচারের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসককে মেনে নেয়নি দাবি করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। আমরা আবারও সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাব।’সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএমএ‘র সাবেক সভাপতি একেএম আজিজুল হক, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব‘র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের ডা. এম এ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. শহীদ হাসান, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. জাহানারা লাইজুসহ আরও অনেকে।এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু, ডা. বাছেদুর রহমান সোহেল, ডা. সাজিদ ইমতিয়াজ, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. মাহবুব শেখ, আহি আহম্মেদ জুবায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক, ঢাবির এসএম হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c668a628f, আমাদের সময়,১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের নামে বানরের পিঠা ভাগাভাগি চলছে: মঈন খান," নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে তা বানরের পিঠা ভাগাভাগি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।মঈন খান বলেন, ‘আজ যা হচ্ছে তা নির্বাচন নয়, এটা বানরের পিঠা ভাগাভাগি। যে দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল, সেই দেশে এমন প্রহসন চলতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আজকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পুষ্পমাল্য দিয়ে আবেদন করছি, আপনারা এই সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। এদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বছরের পর বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে এই সরকার। তারপরও সরকার কেন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোটে আসতে ভয় পায়? আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাই, আপনারা জনগণের মুখোমুখি হন। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। আপনারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসুন। সেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমি সর্বপ্রথম আপনাদের অভিনন্দন জানাব।’মঈন খান বলেন, ‘সরকার দাবি করে তারা অনেক উন্নয়ন করেছে, ভালো কাজ করেছে। এতে আমি সরকারের প্রশংসা করি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার অবসান হোক। ’এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c68d94235, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩," নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি, কারণ পরে জানাব: হিরো আলম"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েও নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে হিরো আলম বলেন, ‌‘নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেব। কেনো নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি তা ওইদিনই সংবাদমাধ্যমে জানাব। আপাতত ধরে নিন নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’এর আগে, গতরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। গত ৩ ডিসেম্বর বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম চারটি ভুলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। পরে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6489d0362, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, চট্টগ্রামে সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে চলছে নির্বাচনী প্রচার," প্রতীক পাওয়ার আগে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ নেই। তাই সামাজিক নানা অনুষ্ঠানের নামে প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে মতবিমিনয় সভা ডাকা হলেও তা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী সভায় পরিণত হচ্ছে। এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।গতকাল বুধবার নগরীর ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা করেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। তিনি উপস্থিত সবার কাছে সরাসরি ভোট চেয়ে নিজেকে শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে জনগণের সেবক দাবি করে প্রতিপক্ষকে কটাক্ষও করেন। নৌকার প্রার্থী এমএ লতিফকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের লোক নন। তাকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল।আগের দিন নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় বিজয় দিবসের আলোচনাসভার ব্যানারে নির্বাচনী প্রচারণায় এমএ লতিফ বলেন, যারা শেখ হাসিনার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন তারা বিএনপি-জামায়াতের দোসর।চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-খুলশী-হালিশহর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ গতকাল দুপুরে নগরীর দেওয়ানহাট সার্বজনীন দেওয়ানেশ্বরী কালী মন্দিরে ভক্তদেরসঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। তিনি শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।এ আসনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠক ও পুরোহিতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা দাবি করে মনজুর আলম বলেন, মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমি গত তিন দশক ধরে টানা কাজ করে চলেছি।চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ও ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা ডাকে। সভায় নির্বাচনকে সফল করতে নেতাকর্মীদের সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।সামাজিক অনুষ্ঠানের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক প্রচার মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c6432a00a, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন হিরো আলম, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েও নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।বিষয়টি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি। হিরো আলম বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন।গত রবিবার শুনানি শেষে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পক্ষে আপিল শুনানি মঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত বুধবার তিনি ইসিতে আপিল করেছিলেন।এর আগে চলতি বছর বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু যাচাই-বাছাইকালে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। ওই বাতিলের কারণ ছিল হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল। পরে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতার বৈধতা এনে নির্বাচন করেন। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় হিরো আলমের। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানত।২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে ‘অনিয়মের অভিযোগ তুলে’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।,Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c66683193, আমাদের সময়, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র," মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশ ইস্যু। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা- এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথু মিলারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো খবর আছে কী?জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজ নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছি না আমি। কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা সেই বিষয়ে কোনো পর্যালোচনা করি না। এটি আমাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস।’অপর এক প্রশ্নে মিলারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভুয়া খবর, ভুয়া ভিডিওসহ পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান কী?জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পর্কিত প্রচারণায় আমরা ডিপ ফেক প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে হেরফের ও প্রভাবিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বৈশ্বিক উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ।’অপর এক প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার রক্ষায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার ডেপুটি দাবি করছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও ম্যানেজ করতে পারবেন। সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সমর্থন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়াতে আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যাতে সবাই সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনী পরিবেশে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c601fbea82, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘ভাগাভাগির নির্বাচনে মানুষ ভোট দেবে না’," তফসিল বাতিলসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। এসব সমাবেশে নেতারা বলেন, এবারের নির্বাচনে সবাই নৌকা প্রতীক চায়। ভাগাভাগির এ নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।গতকাল ভোর ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। অবরোধের সমর্থনে সকালে বাংলামোটর থেকে সোনারগাঁও মোড় পর্যন্ত মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিল শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘মাঠে আছে শুধু ক্ষমতাসীনরা। একবার ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করলেন রিটার্নিং অফিসার, আবার আপিলে গিয়ে বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ দেখানো হচ্ছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ সরকারের সব নীলনকশা ধরে ফেলেছে। জনগণ জেগে উঠেছেÑ তারা রাস্তায় নেমেছে। দেশের মানুষ সরকারের ভাগাভাগির নির্বাচন রুখে দেবে।’রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিটি কলেজ পর্যন্ত মিছিল করে ছাত্রদল। দৈনিক বাংলা মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত মিছিল করে যুবদল।দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার নাটক আর তামাশা করছে। মনোনীত নৌকা, ডামি নৌকা, স্বতন্ত্র নৌকা, বিদ্রোহী নৌকা ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাটক করছে।’ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ফরহাদ হোসেন বেলাল, নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলাম নবাব ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান।অবরোধের সমর্থনে দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ।দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে ১২-দলীয় জোট। পরে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। এতে এলডিপির মহাসচিব ও ১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন হবে না।জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, গণতান্ত্রিক বামঐক্য, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, এলডিপি ও লেবার পার্টিও অবরোধের সমর্থনে আলাদাভাবে মিছিল করে। এ ছাড়া খিলগাঁও, শনিরআখড়া, হাজারীবাগ, মিরপুর, কাফরুল, রামপুরা ও কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c61f9bb1a, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ট্রেনে নাশকতা নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র: ওবায়দুল কাদের," আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাস-ট্রাকে আগুন, ট্রেনে নাশকতা, এসবগুলোই নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র। নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করতে এসব করা হচ্ছে।’আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের দোসররা এসব অপকর্ম করছে। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারা আরও জোরদার করছে বলেও জানান তিনি।আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি নাশকতা করে যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সেই ভয় কাটিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c629d88d3, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত যে কোনো দলের সভা, সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিতে বলেছে ইসি। গণতান্ত্রিক দেশে এটা সঠিক কি না, এটা সংবিধান পরিপন্থী হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো অতি সাধারণ বিষয়। একটা বিশেষ সময়, একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি দল যার যার প্রার্থী নিয়ে তাদের প্রচার-প্রচারণা করবে, সেই সময় এই দল, সেই দল মুখোমুখি হতেই পারে যাতায়াতের পথে। সেখানে যদি আবার আরেকটা নতুন দল নির্বাচন ছাড়া অন্য কথা বলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, ব্যাঘাত হতেই পারে।’আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্বাচনে যাতে ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এটাই আমরা বুঝি। তার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যেটা মনে করেছেন, আমি মনে করি সেটা যথার্থই মনে করেছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে যাতে নির্বাচনটি হয় আমার মনে হয় এজন্যই নির্দেশনাটা দিয়েছেন। সঠিক, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন হতে দেওয়ার জন্য উনি (সিইসি) যা যা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সেগুলো করবেন।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই নির্দেশনাকে সংবিধান পরিপন্থী মনে করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা যখন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা তো সংবিধান দেখেই দিয়েছেন। এখানে সংবিধান লঙ্ঘন হওয়ার কিছু নেই, এখানে তো নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা তিনি জানেন।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে...আমি মনে করি সংবিধান ভালোভাবে জেনে, সেটা দেখেশুনেই তারা নির্দেশনাটা দিয়েছেন। এখানে সংবিধান লঙ্ঘনের কিছু হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও ভালো ব্যাখ্যা নিতে পারেন।’এর আগের সংসদ নির্বাচনগুলোতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন হয়তো উনি (সিইসি) চিন্তা করছেন এ রকম হতে পারে, সেজন্য উনি বলেছেন।’এবার নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অনেক বেশি অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোটেই অবনতি হবে না। অবনতি করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে সেটাও আপনারা দেখছেন। জায়গায় জায়গায় বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, জায়গায় জায়গায় রেললাইন উঠিয়ে দিচ্ছে। সেখানে এগুলোকে স্বাভাবিক করার জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের দৃষ্টিতে যেটা মনে হয়েছে সেটা তারা ঘোষণা দিয়েছেন।’ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে কি আপনারা মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবেন- এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্দেশনা পালনের জন্য যাদের যাদের দায়িত্ব, আমার মনে হয় চিঠি অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’বিএনপি যাতে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের পর সভা-সমাবেশ না করতে পারে সেজন্য কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আপনি নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করবেন। নির্বাচন কমিশন তো স্পষ্টই বুঝতে পারছে, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে না এসে ধ্বংসের খেলায় নেমেছে। সেই জায়গাটিতে যাতে ধ্বংস করতে না পারে, নির্বাচন জাতীয় সুষ্ঠুভাবে হয়, এদেশের জনগণ যাতে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে। আমার মনে হয় সেজন্য এই ঘটনাটা ঘটছে।’এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়।ইসির চিঠিতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারেন, এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।এতে বলা হয়, এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য সব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5f1ffc036, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ," ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক ডজনেরও বেশি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল- আস্থা অর্জন, ইভিএমে ভোটগ্রহণ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি। এগুলোর মধ্যে সরকারের বাজেট স্বল্পতায় ইতিপূর্বেই ইভিএম থেকে সরে আসতে হয়েছে ইসির। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপিসহ ১৫টি দল এই ভোট বর্জন করেছে। ফলে ভোটারদের একটি বড় অংশও এই ভোটের বাইরে থাকবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। ফলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়েও কথা থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রায় সব আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী (ডামি প্রার্থী) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরও দলটি কেন্দ্রে ভোটার আনতে আরও নানা চ্যালেঞ্জ দেখছে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে ভোটাররা যেন ভোট দিতে না যায়। দুপক্ষের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির সামনে ১৩ চ্যালেঞ্জ দেখছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। এগুলোর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- দেশে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, এমন নির্বাচন উপহার দেওয়া। এটিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ইসি। শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আলোচনা শুরু হয় বিগত দুই নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, নাকি নতুন পথ দেখাবেন এ কমিশন? তবে নতুন পথ দেখানো খুব কঠিন হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবারের নির্বাচনে বিদেশি চাপের কথা স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নানা কারণে এবারের ভোটে বিদেশিদের চোখ থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে না পারলে দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক সমালোচিত হতে পারে ইসি। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই ভোট অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে চলছে কমিশন।২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হাবিবুল আউয়াল কমিশন নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর আস্থা সৃষ্টিসহ ১৪ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে রোডম্যাপ ঘোষণা করে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ১৯টি করণীয় চিহ্নিত করে ইসি। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের আস্থা অর্জন করা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটে। ফলে চ্যালেঞ্জটি আর এখন নেই। তবে অপর ১৩টি চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান। তখন ভোটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এটি এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি এবং তার শরিকরা বর্জন করেছে। এ অবস্থায় চ্যালেঞ্জ জয় করতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন।এ ছাড়া ইসির চ্যালেঞ্জ ছিল নির্বাচনের দায়িত্বে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই দেখার বিষয়। কারণ মাঠ প্রশাসনের কাজ ভোটের দিন পর্যন্ত।সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব) আমাদের সময়কে বলেন, নির্বাচনটা সব সময়ই একটা চ্যালেঞ্জ। প্রার্থী ও ভোটার যদি যার যার জায়গা থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তা হলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে কাজটা করিয়ে নেওয়াও একটা চ্যালেঞ্জ। প্রতীক বরাদ্দের পর যখন প্রচার শুরু হবে, তখন আরও চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে। এজন্য সবাইকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা একটি আপেক্ষিক বিষয়। বিএনপি নির্বাচনে নেই তাই তারা গ্রহণযোগ্য কখনই বলবে না। তা ছাড়া সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম সবাই বিভাজিত। একটি পক্ষ বলবে, গ্রহণযোগ্য হয়নি; আরেকটি পক্ষ বলবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এটা আসলে আপেক্ষিক বিষয়। তবে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করতে পারলে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে কিনা এমন প্রশ্নে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আমাদের সময়কে বলেন, ‘এটা তো নির্বাচনই না। নির্বাচনের সংজ্ঞা হচ্ছে দুটির মধ্যে একটি বেছে নেওয়া। দেশে রাজনৈতিক দল বলতে দুটি ব্র্যান্ড আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখানে যে কোনো একটি দল ভোটে না থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কীভাবে? নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের পাতানো ছকে নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছে। একতরফা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’আরও যেসব চ্যালেঞ্জ অর্থ ও পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, সকল রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ, নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক-পুলিশ-প্রশাসন কর্তৃক কোনো রকম বাধার সম্মুখীন না হওয়া, জালভোট, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই রোধ, প্রার্থীর-এজেন্ট-ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে অবাধ আগমন, ভোটারদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিতকরণ, পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী-জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিতকরণ, নিরপেক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োজিতকরণ প্রভৃতি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e5d2748, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করল নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি," নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী জজ মো. সেফাতুল্লাহ এ নির্দেশনা দেন।নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ নোটিশ পাওয়ার পর গত রবিবার বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম লিখিত জবাব দাখিল করেন। লিখিত ব্যাখ্যায় শাহরিয়ার আলম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে জবাবে শাহরিয়ার আলমের পক্ষে তার প্রতিনিধি বলেন, ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে যেন মার্জনা দৃষ্টিতে দেখা হয়।গতকাল বিকেলে এক আদেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করতে সতর্ক করে অনসন্ধান কমিটি।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে, গত ২ ডিসেম্বর রাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দ করার আগেই চারঘাটের ফরহাদ আলাউদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভা করেন শাহরিয়ার আলম। ওই জনসভায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের কর্মী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ১৭ ডিসেম্বরের পর মেরাজকে এলাকা ছাড়া করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এ হুমকির বিষয়ে গত ৫ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেন মেরাজ।শাহরিয়ার আলমকে দেওয়া শোকজ নোটিশে আরও বলা হয়, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার (২০০৮) একাধিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়। এ ব্যাপারে কেন তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে না, সে ব্যাপারে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5f1ff9685, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালে কিছু বিদেশিরও হাত আছে : ওবায়দুল কাদের ," জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই। বিএনপির অবরোধ মানেই বাসে আগুন, গুপ্ত হামলা। কিন্তু সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। এতে কিছু বিদেশিরও হাত আছে। সহিংসতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে। দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে বদনাম করে কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল।পরে বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে সংসদ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট দপ্তরবিষয়ক উপ-কমিটির মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে বানচালে বিএনপি সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্র করছে। এতে কিছু বিদেশির হাতও আছে। ১৬ ডিসেম্বরের পর নেতাকর্মীদের নির্বাচনেরমাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাদের উপস্থিতি একেবারে নগণ্য। প্রয়োজনে বাইরের দু-একজনকেও যুক্ত করতে হবে। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5d9eaecb, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা শুনতে হাইকোর্টে দুই বেঞ্চ গঠন," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা শুনানি করতে হাইকোর্ট বিভাগে পৃথক দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বেঞ্চ দুটি গঠন করে দিয়েছেন।আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ইকবাল কবীরকে একটি বেঞ্চের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি বেঞ্চের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে। এ দুটিবেঞ্চ প্রার্থিতা ফিরে পেতে যে সকল প্রার্থীরা রিট করেছেন তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত সকল মামলা শুনবেন।এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন ২৫ প্রার্থী। গত রবিবার ও সোমবার দুই দিনে মোট ২৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এসব আবেদন করেন।ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5470a15e, আমাদের সময়, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩," পুলিশ প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, প্রতিমন্ত্রীকে ইসির শোকজ"," পুলিশি নিরাপত্তায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। এ কারণে তাকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুসন্ধান কমিটি।আজ রবিবার প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচনী তদন্ত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম কবির হোসেন ফরহাদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি ফরহাদ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা-৭৩, মেহেরপুর-১, (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। আমি গত ৯ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে বিকেল আনুমানিক ৫টায় মেহেরপুর সদর উপজেলাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলমারী বাজারে অবস্থানকালে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়েও সরকারি গাড়িযোগে ও পুলিশ প্রটেকশনে শোলমারী বাজারে অবস্থিত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার বাড়ির সামনে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করে বক্তব্য দিয়েছেন।’নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওই জনসভায় পাঁচ শতাধিক লোকের জনসমাগম হয়েছে। আপনি আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়েও সরকারি গাড়িযোগে পুলিশ প্রটেকশনে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১২ ও ১৪ (২) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না, তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5e0228a0, আমাদের সময়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: আজহারুল," নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও ভোটের মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ।নির্বাচন নিয়ে ইসির পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যেই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ-ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজহারুল ইসলাম বললেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের নামে যা হবে, তা হচ্ছে নির্বাচন নির্বাচন পাতানো খেলা।আজ মঙ্গলবার দুপুর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির নিচে ঝটিকা মিছিল ও গণর‌্যালির আগে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম।ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান দেশ ও জাতির মহাবিপদাপন্ন অবস্থা হইতে পরিত্রাণের জন্য মরহুম মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো দৃঢ়চেতা নেতা ও ব্যক্তিত্বের একান্ত প্রয়োজন ছিল। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আজকের দিনে ১৮৮০ সালেসিরাজগঞ্জে ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সারাজীবন গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশসহ আফ্রো-এশিয়া, লেটিন আমেরিকার নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের একমাত্র কান্ডারি ছিলেন মওলানা ভাসানী।’অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। যা হবে, তা হচ্ছে নির্বাচন নির্বাচন পাতানো খেলা। যে পার্লামেন্ট চলাকালীন প্রতি মিনিটে খরচ হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সেই পার্লামেন্টে শেখ হাসিনা হালুয়া রুটির ভাগের জন্য বসিয়েছেন। গান-বাজনা ও ক্রিকেট খেলার মাঠ বানিয়াছেন। গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের এই টাকা নষ্টই হচ্ছে। আর যেখানে বর্তমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১৫২০ কোটি টাকা খরচ হবে, এটাও জনগণের টাকা, এই টাকা পুরাটাই অপচয় হবে। এই নির্বাচনে, নির্বাচন কমিশানরের মাধ্যমে না করে, এই ১৫২০ কোটি টাকা দেশের জন্য কাজে লাগত। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ প্রধান মন্ত্রী হিসাবে যাকে যে সিট দেওয়ার একটি লিস্ট বানিয়ে ঘোষণা করলেই হয়, এই নির্বাচন নির্বাচন খেলার কোনো প্রয়োজন নাই। আর এই মাথাভারী প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কোনই প্রয়োজন নাই।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c579076d6, আমাদের সময়, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।এর আগে গতকাল রবিবার রিটকারী আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশের দিন পিছিয়ে সোমবার ধার্য করেন।গত ৪ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। গত ২৮ নভেম্বর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4dc92982 , আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩," ‘নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা, তবুও আশায় জাতীয় পার্টি’"," জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবুও জাতীয় পার্টি আশায় আছে।’আজ শনিবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।এসময় ঋণখেলাপী নন দাবি করে চুন্নু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির তথ্য আনা হয়েছে; যার কোনো ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক কারণে অভিযোগ আনা হয়েছে।’আসন সমোঝতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে স্থায়ী বলতে কিছু নেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণার পর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।’বেকারত্ব দূরিকরণ কর্মসূচি, দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থপাচার বন্ধ করা, উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করাকে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4e9b6bbb, আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসি ও সরকারের আগ্রহ ছিল না’," আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল। মতবিনিময়কালে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের আগ্রহ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির নেতারা।আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে ইইউ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। মিশনের প্রধান ও নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার মাতুস মিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।ইইউ নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা এবি পার্টির উদ্দেশ্য, কর্মসূচি এবং সমস্যা সমাধানমূলক নতুন প্রজন্মের রাজনীতি এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের কারণ জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।এবি পার্টির নেতারা দলের সাংগঠনিক কাঠামো, সারা দেশে কার্যক্রম বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের কারণে নতুন দলের বিস্তৃতির চ্যালেঞ্জগুলো ব্যাখ্যা করেন। সকল শর্ত পূরণ সত্ত্বেও ইসি কর্তৃক এবি পার্টির নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়টিও মতবিনিময়ের সময় উত্থাপিত হয়। এবি পার্টি নেতারা দলের নিবন্ধনের জন্য হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনের বিষয়েও অবহিত করেন। প্রতিনিধি দলকে এবি পার্টি নেতারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে শুরু থেকেই ইসি বা সরকার কারোরই কোনো আগ্রহ ছিল না। আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4ede8300, আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সরকার-ইসিকে দায় নিতে হবে: আসক," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই (ইসি) নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এ ছাড়া সভা ও সমাবেশের অধিকার, গায়েবি মামলা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও হেফাজতে নির্যাতনসহ বিভিন্ন অধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাছে ১৪টি দাবি তুলে ধরেছে সংস্থাটি। আগামীকাল রবিবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। এ ঘোষণাপত্রের ৩০টি অনুচ্ছেদে প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দাবিগুলো তুলে ধরেছে।যে ১৪ দাবি জানিয়েছে আসক রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যেকোনও ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেমন- বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এখতিয়ার-বহির্ভূত আচরণ ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে এবং সম্পৃক্তদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শাস্তি দিতে হবে। এ পর্যন্ত সংঘটিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের যেকোনো নাগরিককে আটক বা গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা বা গায়েবি মামলা সংক্রান্ত যে অভিযোগগুলো উঠেছে— সেগুলো আমলে নিয়ে অভিযোগের যথাযথ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।নাগরিকের সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার যথাযথভাবে চর্চা করার পরিবেশ তৈরি এবং জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ভিন্নমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ কিংবা কোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পেশাদারত্বের আওতায় রেখে তাদের কর্ম-পরিধি নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে। ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করে যেন কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজ বিশ্বাস ও রীতি চর্চার অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।মানবাধিকারকর্মী ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ দ্রুততার সঙ্গে সংশোধন করতে হবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের নিয়োগের জন্য একটি উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশে সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সহযোগিতায় বিদেশি দূতাবাসগুলোতে জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালুসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বিস্তৃত করতে হবে। সর্বোপরি, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসক-এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল দাবিগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি আরও বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগগুলো উঠেছে, তা নিরপেক্ষ ও যথাযথভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। অন্যথায়, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটতেই থাকবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তার দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। কাজেই সব ধরনের সতর্কতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4abd60ac1 , আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, পুঁজিনির্ভর রাজনীতি এবং তারাবাজির নির্বাচন," শিল্পমাধ্যম এবং রাজনীতি আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন দুই মেরু মনে হতে পারে। কিন্তু ভোটের হাওয়ায় দুটোই মিলেমিশে একাকার! আমাদের রাজনীতি তার উৎকর্ষ হারিয়েছে। হারিয়েছে শিল্পগুণ। আবার অন্য অর্থে রাজনীতি এখন বড় এক শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রিজ। এখানেও বড় বিনিয়োগ লাগে। অর্থ লাগে। কর্মী লাগে। রাজনীতি নামক শিল্পে বিনিয়োগে এখন ক্ষতির আশঙ্কা কম। বরং লাভ-ই বেশি। তাই ব্যবসায়ীরা ছুটছেন রাজনীতির পেছনে! আমাদের দেশে সেটা গেল শতাব্দীর সত্তর দশক থেকে। যখন এক জেনারেল ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, ‘আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান!’ রাজনীতি তখন থেকেই রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হতে শুরু করে। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের মুখে এখন শুনতে হয়, ‘রাজনীতি করতে টাকা লাগে। নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে টাকা লাগে! জনগণের ভোট পেতেও টাকা লাগে!’ তাদের কথাগুলো মনে হয় দীর্ঘশ্বাস হয়ে ভোটের মাঠে ঝরে পড়ে! আসলেই রাজনীতি নামক শিল্পে টাকা লাগে।ভোটের রাজনীতিতে জনগণই নির্ণায়ক। কিন্তু অর্থ হচ্ছে নিয়ন্ত্রক। নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীরা যে সম্পদের বিবরণ জমা দেন সেখানে সত্য লুকান কিনা তার আভাস পাওয়া যায় গণমাধ্যমের খবরে। শিল্পমাধ্যম বা খেলার মাঠ থেকে এসে যারা রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তাদের বড় সম্পদ জনগণের আবেগমথিত আবেগ। সেই হিসাবটা অবশ্য তারা কোনো বিবরণ হিসাবে জমা দিতে পারেন না। কারণ আবেগের পরিমাপ করা কঠিন। কিন্তু মানুষের আবেগতাড়িত তারকাখ্যাতিতে ভাটার টান দেখা দিলেও রাজনীতিতে নামলে তাদের সম্পদ বেড়ে যায়! ক্রিকেট তারকা হিসেবে যিনি ভোটের মাঠে নেমেছিলেন এবার রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সম্পদ বেড়েছে। পেশা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের আকারও পাল্টে যাচ্ছে। পেশা হিসেবে রাজনীতি অনেক লাভজনক। বাংলাদেশ দলের এক সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেটার থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার পর এবার তার পেশা উল্লেখ করেছেন রাজনীতি। তার সম্পদ বিবরণীও পাল্টেছে। বেড়েছে তার সম্পদও!তারকাখ্যাতির বিনিময়ে যারা সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান সেখানে বিনিময় মূল্য হওয়ার কথা কাজ। রাজনীতি বিশ্লেষক থেকে মনোবিদরা তেমন কথাই বলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পেছনে এবার শুধু তার পুরনো তারকা ইমেজ কাজ করেনি। তিনি জনগণের জন্য কতটা কাজ করেছেন সেটাই সামনে চলে এসেছে। সেই বিবেচনায় নিজের উইকেট অক্ষত রাখতে পেরেছেন তিনি। জাতীয় দলের অধিনায়ক থেকে জনগণের নেতা হওয়ার একটা উদগ্র ইচ্ছে তার মধ্যে কাজ করে। সাধারণ মানুষের নেতা হতে গেলে তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। এই তিনটা বিষয় বেশ ভালো জানা মাশরাফীর। এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন খুব সহজেই। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও এলাকায় গিয়ে নেমে পড়েন খেলার মাঠে! চিত্রা নদীর পারের প্রতিটি মহলা, প্রতিটি এলাকার মানুষের কাছে তিনি এখনো তাদের সেই ‘কৌশিকরূপে মাশরাফী!’ এমপি সাহেবের মোড়ক এখনো তাকে মুড়ে ফেলতে পারেনি।রাজনীতির ‘নীতি’র চেয়ে মাশরাফীকে মানুষ বেশি পছন্দ করেছিল মানুষ হিসেবে। এখনো তাই। এই একটা স্টার কাস্টিং আওয়ামী লীগের সঠিক। যে কারণে দলীয় রাজনীতিতেও তার গুরুত্ব বেড়েছে। দলের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থেকে নড়াইলে নৌকার মাঝি তিনি।তার পাশের জেলায় আরেক আসনে নৌকার মাঝি করা হয়েছে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অর্থ-খ্যাতি সবই আছে তার। ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজের দাপট রাজনীতির মাঠে তিনি দেখাতে পারেন কিনা সেটা দেখার জন্য তাকিয়ে ক্রিকেট মহল থেকে রাজনৈতিক মহল। ক্রিকেট-পরবর্তী জীবন রাজনীতিকে পেশা হিসেবে তিনি নেবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে। রাজনীতি বিশ্লেষক, মনোবিদরা নানা তত্ত্বে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, সাকিবের স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি কদিন দেশে থাকবেন! তাদের এই যুক্তির গুগলিকে বাউন্ডারি লাইনের ওপারে ফেলা সহজ নয়। কিন্তু ডিফেন্স করা যায়। পাল্টা প্রশ্ন করা যায়, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের কজনের ছেলেমেয়ে দেশে পড়াশোনা করছেন বা বসবাস করছেন! শুধু রাজনীতিবিদ কেন, আমলা, ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই বিদেশে। তা হলে সাকিবের বেলায় প্রশ্ন কেন?প্রশ্নÑ কারণ সাকিব তারকা। তার যশ-খ্যাতি অন্য ব্যবসায়ীরাও ব্যবহার করেন। এই জায়গায় সাকিব আল হাসান পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী! ‘ফেল কড়ি মারো তেল’Ñ ফর্মুলায় তিনি ফিতা কাটেন কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন। পণ্যের মডেল হওয়ার চেয়ে অনেক কঠিন রাজনীতির মডেল হওয়া। সেটা সাকিবের একেবারে অজানা নয়। আবার জানা সেটাই বা বলছি কীভাবে! নির্বাচনের বাইশগজে নামার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইন বা আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ। ভুল স্বীকার করে বেনিফিট অব ডাউট পেলেন তিনি।ক্রিকেটার সাকিবকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কম হয়নি। ক্রিকেটার হয়ে ক্রিকেটের অনেক আইনকানুনের তোয়াক্কা তিনি করেননি! তার পরও এ দেশের মানুষ তার নামে স্লোগান দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের জান.. সাকিব আল হাসান!’ সেই দেশের মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানাবেন এটা আশা করা যায়। কিন্তু তিনি জনগণকে কী দেবেন সেই প্রশ্নটাও সামনে চলে আসে। জনগণকে শুধু দেওয়া নয়, তাদের সঙ্গে তারকা সাকিবের আচার-আচরণ, ব্যবহার কতটা জনপ্রতিনিধিসুলভ হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।সাকিব-মাশরাফীদের মতো তারকাকে মনোনয়ন দেওয়া যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য সহজ কাজ। কারণ এদের নিয়ে রাজনৈতিক দায় কম থাকে। এরা জয়ী হলে দল তাদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বা কৃতিত্বের চেয়ে বেশি বলেন দলের নেতাকর্মীদের কথা। আর হারলে সেই অর্থে দলীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়ে না। হারলে বলা যায়, তারকারা তো আর রাজনীতির লোক নন। স্বতন্ত্র বা বিরোধী প্রার্থী অনেক শক্তিশালী বলে যুক্তি দাঁড় করানো যাবে। সাম্প্রতিককালের ভোটের ইতিহাস বলছে, আওয়ামী লীগের তারকা প্রার্থীদের তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা তার খানিকটা মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাননি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। মনোনয়ন পাননি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। সাবেক তারকা ফুটবলার এবং আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। তার এলাকায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন গায়িকা মমতাজ। টুটুল প্রার্থী হয়েছেন স্বতন্ত্রভাবে। লড়াই তার নিজের দলের প্রার্থীর সঙ্গে। আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার টুটুলের সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়াই গায়িকা মমতাজের। মানিকগঞ্জের এই আসনে তারকা লড়াই হলেও হতে পারে। তবে ওই আসনের নির্বাচনী ইতিহাস বলে, এলাকার মানুষ তারকাকে ভোট দেওয়ার জন্য আপ্লুত হয়ে বসে থাকেন তা নয়। গায়িকার গানে মুগ্ধ হয়ে কিংবা ফুটবল তারকার ফুটবল জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন বিষয়টা মোটেও তা নয়। নির্বাচনী হাঁকডাক, চিৎকার-চেঁচামেচিতে তারকাদের প্রচার-প্রচারণা বেশি। কিন্তু শিল্পপতি প্রার্থীরাও প্রচারণায় খুব পিছিয়ে থাকছেন না। সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যমে তারাও সরব। মাঝখানে নীরব শুধু সেসব রাজনীতিবিদ। জীবন-যৌবনের বড় একটা সময় যারা জনগণের কথা বলতে, জনগণের সঙ্গে চলতে রাজপথে, রাজনীতির মাঠে ব্যয় করেছেন! অবিশ্বাস্য বিস্ময় নিয়ে তারা তাকিয়ে থাকেন নির্বাচন নামক গণতন্ত্রের নির্ণায়কের দিকে!",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c4b80bca21, আমাদের সময়, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী ট্রেনকে গন্তব্যে পৌঁছতে দেওয়া হবে না : রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারাদেশের কারাগারগুলো বিএনপির নেতাকর্মীতে ভরে গেছে। সেখানে অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। অনেক সিনিয়র নেতারও একই পরিণতি। সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে এবং জোটের কয়েকটি দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করেছে। ওবায়দুল কাদের ও তার দলের লোকজন ভোট ডাকাতির জন্য নির্বাচনী ট্রেনে চড়তে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন দলের লোকদের ভাড়া করেছে। কিন্তু এ ট্রেনকে গন্তব্যে পৌঁছতে দেওয়া হবে না। গতকাল বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসবকথা বলেন।৩০ নভেম্বর নাটোর কারাগারে বিনাচিকিৎসায় যুবদল নেতা এ কে আজাদ সোহেলের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায়ই তার মৃত্যু হয়েছে। শুধু বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা নয়, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সারাদেশে এ রকম ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের লোকও সরকারসংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নিস্তার পায় না। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তা হলে নির্বাচন অবৈধ হবে কেন? আমার প্রশ্ন, বিএনপিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া একতরফা নির্বাচন বৈধ হয় কী করে? ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জিতে আসার দিন শেষ।রিজভী দাবি করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই জানে যে, সরকার আরেকটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ কারণে জাতিসংঘ কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়াসহ ২১৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৭টি মামলায় ৮৭৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c5f1ff9685, আমাদের সময়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালে কিছু বিদেশিরও হাত আছে : ওবায়দুল কাদের," জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই। বিএনপির অবরোধ মানেই বাসে আগুন, গুপ্ত হামলা। কিন্তু সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। এতে কিছু বিদেশিরও হাত আছে। সহিংসতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে। দেশকে খাটো করতে বিদেশিদের কাছে বদনাম করে কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল।পরে বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে সংসদ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট দপ্তরবিষয়ক উপ-কমিটির মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে বানচালে বিএনপি সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্র করছে। এতে কিছু বিদেশির হাতও আছে। ১৬ ডিসেম্বরের পর নেতাকর্মীদের নির্বাচনেরমাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাদের উপস্থিতি একেবারে নগণ্য। প্রয়োজনে বাইরের দু-একজনকেও যুক্ত করতে হবে। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c45a52e652, আমাদের সময়, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, অভিযোগ পেলে নির্বাচনী হলফনামা কাজে লাগাবে দুদক," সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামার তথ্য ব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক। তবে হলফনামার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রার্থীদের সম্পদের পেছনে দৌড়াবে না সংস্থাটি। আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল দুদক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব কথা বলেন।দুদক সচিব বলেন, নির্বাচনকে উদ্দেশ করে দুদকের কিছু করার সুযোগ নেই। তবে ইসির কোনো নির্দেশনা থাকলে আমরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেব নেব। আইনে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বলা আছে। হলফনামা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করব বিষয়টি এমন না। কোনো অভিযোগ এলে কমিশন যা করার দরকার তাই করে। এদিকে আগামীকাল শিল্পকলায় দুদকের দুর্নীতিবিরোধী দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c366c3dc04, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩,একতরফা নির্বাচন দেশকে দুর্যোগে ঠেলে দিচ্ছে," বিএনপিসহ সরকারবিরোধী নেতারা বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তার ও সাজা দিয়ে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে বিরোধী দলহীন একতরফা তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের পদত্যাগসহ একদফা এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে ৯ম দফায় ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল শেষে সমাবেশে গতকাল নেতারা এসব কথা বলেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাজধানী উত্তরায় অবরোধ সমর্থনে জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের মিছিল শেষে বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কোন আসনে কে নির্বাচন করবেন, সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পছন্দের লোক রেখে বাকিদের মনোনয়ন বাতিল করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে ইসি।স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াছিন আলী ও নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে আসাদগেটে; এএ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদারের নেতৃত্বে শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগ মোড়, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, পান্থপথ, বিজয়নগর পানির ট্যাংক, খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে মহাখালী এলাকায় ও খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন বিল্টুর নেতৃত্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল হয়েছে এবং মগবাজার এলাকায় তানজিল হাসানের নেতৃত্বে মিছিল করেছে ছাত্রদল।এদিকে অবরোধ সমর্থনে সকালে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীর তোপখানা রোড, দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেছে। এতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অতীতের মতো এবারও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তামাশা করতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে আসবে। তাই এখনো সময় আছে সোজা পথে হাঁটুন।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এখন ডামি নৌকা আর মনোনীত নৌকা ধাক্কাধাক্কি করছে। জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ (নুর)। নুরুল হক নুর বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশকে মিয়ানমারের মতো গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।অবরোধ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে সমাবেশ করে। এতে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সরকার জনগণকে আবারও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাগপার রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের শামসুল আহাদ প্রমুখ।জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টিও রাজধানীতে মিছিল করেছে।অন্যদিকে অবরোধ সমর্থনে রাজধানীতে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিরআখড়া, সবুজবাগ, ডেমরা, লালবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডা, শেওড়াপাড়ায় মিছিল হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c403f58919, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, চেম্বারে লতিফের নির্বাচনী সভার তীব্র সমালোচনা," চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এমএ লতিফ গত সোমবার চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্সে যুবলীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় তিনি আসন্ন নির্বাচনে নৌকাকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করতে যুবলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।এমএ লতিফের এই সভার তীব্র সমালোচনা করেছেন তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমন আমাদের সময়কে বলেন, এমএ লতিফ কোনো দিন আমাদের লোক ছিলেন না। আমরা তাকে ধার (হায়ার) করে এনেছিলাম নির্বাচন করতে। এরপর তিনি টানা তিনবার এমপি হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তৃণমূলের একজনকে তাদের প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীই আমাকেসেই সুযোগ দিয়েছেন। কাজেই এখন তো লতিফের আর দরকার নেই। জিয়াউল হক সুমন বলেন, এমএ লতিফ চট্টগ্রাম চেম্বারকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করছেন। ব্যবসায়ীদের উচিত তার এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।চট্টগ্রাম চেম্বারের মিলনায়তনে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা নিয়ে কথা বলতে একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী আমাদের সময়কে বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব দেওয়া অনেক ব্যবসায়ী নেতা পরবর্তী সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংসদ সদস্য হয়েছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন। প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মতো ব্যবসায়িক নেতা একসময় চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে তিনি এফবিসিসিআই, এমনকি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেম্বারেরও নেতা হন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু তাদের কেউই এভাবে চট্টগ্রাম চেম্বারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেননি।চট্টগ্রাম চেম্বারের বর্তমান সভাপতি ওমর হাজ্জাজ হলেন এমএ লতিফের পুত্র। যুবলীগের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে চেম্বার মিলনায়তনে এমএ লতিফের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে তাকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এমএ লতিফের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বারবার তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এমএ লতিফ চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি। গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে চেম্বারের নেতৃত্ব তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে এমএ লতিফ টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। ওই নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বড় একটি অংশের নেতাকর্মীরা তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন।তবে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমএ লতিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পিতার বিরোধিতা করে, পিতার ঘরে থাকার অধিকার সন্তানের থাকে না। নৌকার বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগে থাকারও কোনো সুযোগ নেই। যে পাত্রে খাবেন সে পাত্র ছিদ্র করার মতো নেমকহারামি না করে দলের পদ-পদবি ছেড়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে আসুন। তিনি আরও বলেন, যিনি আওয়ামী লীগ করেন, তিনি শেখ হাসিনার নৌকায় কুড়াল মারতে পারেন না। যারা নৌকার গায়ে কুড়াল মারতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা কুড়াল মার্কার ফ্রিডম পার্টির লোক।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c401733f2, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সরকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা নাটিকা রচনা করবেন: রিজভী," আগামী ৭ জানুয়ারি ‘তামাশার নির্বাচন’কে কেন্দ্র করে সরকার নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির পক্ষে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, মানবাধিকার দিবসে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্য নাকি তার কাছে রয়েছে। আসলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের সাংবাদিক সম্মেলন যেন চিত্তকর্ষক কমিডি শো এবং তিনি হচ্ছেন যোগ্য হোস্ট। গোয়েন্দা তথ্যের উৎস কি সুধা সদন নাকি গণভবন? আসন্ন তামাশার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবেন তার আভাস পাওয়া যায় এসমস্ত কথায়।’বিএনপির ত্যাগী কাউকে হালুয়া রুটির লোভে রাজদলে ভাড়া করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গুটি কয়েক উচ্ছিষ্ট পূর্ব থেকে দল বিতাড়িত কিছু গণধিকৃতকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগানোর দলে পরিণত হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন মাফিয়াদের বর্তমান আস্তানা গণভবনের দিকে ছুটছে। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই হাস্যকরভাবে আকুতি জানাচ্ছেন সংসদে যাওয়ার জন্য।’ রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার তার রেজিমের প্রধান বিরোধীদল বানিয়েছেন সেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি। কী ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট। শেখ হাসিনার আর্শীবাদ ছাড়া দেশে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।’ রিজভী আরও বলেন, ‘যারা এই পাতানো সিলমোহরের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বা প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতা করছেন তাদেরকে আমি বিএনপির পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদের যদি নূন্যতম দেশপ্রেম থাকে, যদি মনুষ্যত্ব থাকে, বিবেক বিবেচনাবোধ থাকে তবে ফিরে আসুন। আপনারা মীরজাফরের উত্তরসূরী হবেন না। ১৮ কোটি মুক্তিকামী মানুষের ঘৃণা রুদ্ররোষের শিকার হবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগ-বাটোয়ারার পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোন সহযোগিতা করবেন না। ভোটাররা ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় এই অমার্জনীয় অপকর্মের জন্য জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম বেইমান-মীরজাফরের পাশে উৎকীর্ণ থাকবে। আপনাদের একদিকে স্বাধীনতার পতাকা অন্যদিকে নাতসীবাদী স্বৈরাচার-গোলামীর জিঞ্জির। আপনারা দেশপ্রেম ও ইমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার চেষ্টা করুন।’বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানা যুবদল নেতা আফজাল হোসেন সোহেলকে গত কয়েকদিন আগে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছেলের গ্রেপ্তারের কথা শুনে তার পিতা সাবেক রেল চালক দেলোয়ার হোসেন স্ট্রোক করে সাতদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা এই ধরণের ঘৃন্য ও অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিহত দেলোয়ার হোসেনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’অবিলম্বে মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের ফরমায়েশী সাজা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মোহাম্মদ এরশাদুল, মো. জুনাইদ, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মো. মিজানুর রহমান টিপুকে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ২ বছর ৩ মাস ফরমায়েশী রায়ে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।’ বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেশকাত হোসেনকে গত ৪ নভেম্বর পান্থপথ মোড় থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমি মেশকাতকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। খুলনা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল হোসেন গাজীকে তার নিজ বাসা থেকে র‌্যাব-৬ পরিচয়ে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যশোর নগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়ির ফটক ও দোকানের সাটার ভেঙ্গে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। রামনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মারুফ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং বাসা থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও নগর যুবদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফের বাড়িতে অভযান চালিয়ে দুইটি মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পরিবারের লোকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। একই সময়ে নগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য আবুল কাশেম কালু, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, রোহিতা ইউপি ছাত্রদলের সভাপতি আল মামুন পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিয়াম খানসহ অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।’গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩৬০ জনের অধীক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে ৯৫৪টির অধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ৮৪ হাজার ২২৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় একজন সাংবাদিকসহ ২০ জন নেতাকর্মী নিহত এবং ৮ হাজার ৭৬৪ জনের অধিক আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৭টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ৬১৭ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c3b08ca9117, আমাদের সময়, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, এবারের নির্বাচন ভাগাভাগির," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ভাগাভাগির নির্বাচন’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে তাদের ভাগাভাগি শেষ হয়ে যাবে। আসলে এটা তো ভাগাভাগির নির্বাচন।’ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘যাদের ভাগিয়ে এনেছেন বিভিন্ন দল থেকে এবং তাদের তথাকথিত জোটের যারা মনোক্ষুণœ, তাদের হালুয়া-রুটির কিছু অংশ দিয়ে তারা নির্বাচনী ঘোষণা দেবেন। ফলাফলের একটি ঘোষণা দেবেন ৭ জানুয়ারি। সেটা পাঠ করবেন নির্বাচন কমিশন। সেটারই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব।’বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার সেদিকে খেয়াল রাখছে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ গার্মেন্টসশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে; শেখ হাসিনা নির্বিকার। এর ওপর যদি গার্মেন্টেস পণ্য রপ্তানির ওপরে স্যাঙ্কশন আসে, তা হলে কী পরিণতি হবে তা শেখ হাসিনা ভাবছেন না।’গত চার মাসে ২২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।রিজভী বলেন, রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, মুগদা ও সবুজবাগ থানার ৪টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মৃত ব্যক্তিসহ মোট ৩২ জন নেতাকর্মীকে ফরমায়েশি রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে সবুজবাগ থানার ২০১২ সালের মামলার আসামি বিএনপি নেতা সোহরাওয়ার্দী ৩ বছর আগে মারা গেছেন। তাকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ফরমায়েশি সাজার তীব্র নিন্দা ও সাজা বাতিলের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c366c3dc04, আমাদের সময়, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন দেশকে দুর্যোগে ঠেলে দিচ্ছে," বিএনপিসহ সরকারবিরোধী নেতারা বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তার ও সাজা দিয়ে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে বিরোধী দলহীন একতরফা তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের পদত্যাগসহ একদফা এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে ৯ম দফায় ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল শেষে সমাবেশে গতকাল নেতারা এসব কথা বলেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাজধানী উত্তরায় অবরোধ সমর্থনে জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের মিছিল শেষে বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কোন আসনে কে নির্বাচন করবেন, সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পছন্দের লোক রেখে বাকিদের মনোনয়ন বাতিল করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে ইসি।স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াছিন আলী ও নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে আসাদগেটে; এএ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদারের নেতৃত্বে শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগ মোড়, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, পান্থপথ, বিজয়নগর পানির ট্যাংক, খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে মহাখালী এলাকায় ও খন্দকার শাহ মইনুল হোসেন বিল্টুর নেতৃত্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল হয়েছে এবং মগবাজার এলাকায় তানজিল হাসানের নেতৃত্বে মিছিল করেছে ছাত্রদল।এদিকে অবরোধ সমর্থনে সকালে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীর তোপখানা রোড, দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেছে। এতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অতীতের মতো এবারও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তামাশা করতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে আসবে। তাই এখনো সময় আছে সোজা পথে হাঁটুন।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এখন ডামি নৌকা আর মনোনীত নৌকা ধাক্কাধাক্কি করছে। জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ (নুর)। নুরুল হক নুর বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশকে মিয়ানমারের মতো গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।অবরোধ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে সমাবেশ করে। এতে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সরকার জনগণকে আবারও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাগপার রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের শামসুল আহাদ প্রমুখ।জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টিও রাজধানীতে মিছিল করেছে।অন্যদিকে অবরোধ সমর্থনে রাজধানীতে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিরআখড়া, সবুজবাগ, ডেমরা, লালবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডা, শেওড়াপাড়ায় মিছিল হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2ff98063, আমাদের সময়, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা ইতিহাসে কলঙ্কিত হবেন: এবি পার্টি," সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ এবং প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করার জোর দাবি করেন দলটির নেতারা।আজ রবিবার বিকেল ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে তা কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে শেষ হয়। বিজয় নগররের বিজয়-৭১ চত্বরে মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। এতে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ আরও অনেকে।সমাবেশে প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘বর্তমান সরকার এতই নির্লজ্জ ও তাদের ভাষা এতই আক্রমণাত্মক যে, বিশ্ববাসীর কাছে আমাদেরকে লজ্জিত হতে হয়। নির্বাচন কমিশন যে একদলীয় নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের ভোটাধিকারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তাতে তারা একদিন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধী হবেন।’সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সরকারের যোগসাজশে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন করতে যাচ্ছে সে নির্বাচনের সবকিছুর নিয়ন্ত্রক শেখ হাসিনা। কে কোথায় কোন মার্কায় নির্বাচন করবে, কে জিতবে, কে ডামি প্রার্থী হবে সবই হচ্ছে শেখ হাসিনার হুকুমে। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রহসন মঞ্চস্থ হবে ৭ জানুয়ারি। এই প্রহসনমূলক নাটকে নির্বাচন কমিশনসহ সকল প্রার্থী ও ভোটারেরা ডামি অভিনেতা ছাড়া আর কিছু না। দেশবাসীকে এই সাজানো নাটকের নির্বাচন বর্জন ও বন্ধ করার আহ্বান জানাই। এতে যারা অংশ নেবেন তারা সবাই ইতিহাসে কলঙ্কিত হবেন।’যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা যে সাজানো নির্বাচন করতে চাচ্ছেন জনগণের কাছে তা ধরা পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মহল বারবার সতর্ক করার পরও আপনারা গোঁয়ার্তুমি করে জনগণকে প্রত্যাখ্যাত করে একপেশে নির্বাচন আয়োজন করার কারণে দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসছে। এর আগে পুলিশের আইজিসহ র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে এখন সোয়াটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসল। সামনে অর্থনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসলে জাতি আপনাদেরকে আর রেহাই দেবে না।’বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ ও এবি যুব পার্টির সদস্যসচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2dcde87b, আমাদের সময়, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ‌‘আমরা আর মামুরা’ স্টাইলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: রিজভী," বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আমরা আর মামুরা স্টাইলে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘চক্রান্ত করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। ’আজ রবিবার অবরোধের সমর্থনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি কাকরাইল থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে আরও অংশ নেন- বিএনপির সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী মৎসাজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, মো. শাহ আলম, কবির উদ্দিন মাস্টার, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব কেএম সোহেল রানা, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মোহাম্মদ বাকীবিল্লাহ, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আউয়াল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক, ঢাবির ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ, মৎসজীবী দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এইচ এম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার আহবায়ক হাজী আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী, এম এ জি বাবুল ও মহানগর নেতা মো. শাহাদত হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ, দলের মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপিসহ সম রাজনৈতিক দল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2b7a680b , আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় যুবদল নেতাকে বহিষ্কার," কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায়জেলা যুবদলের সদস্য, নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নিকলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাজ্জাদ হোসেনকে (স্বাধীন) দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।গতকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি (দপ্তর দায়িত্বে) কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন।গত ৩০ নভেম্বর সাজ্জাদ হোসেন (স্বাধীন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন। সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন দাবি করেন, তিনি গত তিন বছর ধরে বিএনপি ও এর কোনো সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সদস্য পদে আছেন। নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্বাধীনের বক্তব্য ভিত্তিহীন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে গঠিত নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে স্বাধীন আছেন। নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু আমাদের সময়কে জানান, মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীনকে কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে বহিষ্কারের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c30be35a43, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন কমিশনের বদনাম হবে," কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে এবং সময় যত ঘনিয়ে আসবে আরও ভালো হবে। উৎসবমুখর না হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বদনাম হবে। তারা মর্যাদা হারাবে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ ও দক্ষ হয়, তা হলে নির্বাচন আরও জমে উঠবে। নির্বাচন হচ্ছে ভোটারদের। তারা যদি সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে যায় ও ভোট দেয়, তা হলে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে।গতকাল রবিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কখনো কোনো কিছু নিয়ে আশঙ্কা করি না। এখনো করছি না। আমি মোকাবিলা করতে পছন্দ করি। নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে কিনা, সেই জন্য আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার বড়ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীও দাঁড়িয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যাক ভোট কেমন হয়?বিএনপি ছাড়া ভোট কেমন হবে- এ প্রশের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি ভোটে আসতে পারত। তবে আসে নাই। এটা ভোটাররা দেখবে, বিবেচনা করবে। রাজনীতিতে পাবলিকের প্রাধান্য থাকা দরকার। ভোটারদের প্রাধান্য থাকা দরকার। কে কি বলল, কে এলো না এলো তাতে কিছু যায় আসে না। তার চাইতে ভোটারদের প্রাধান্য ও ভোটার কি করছে তার প্রাধান্য থাকা দরকার।গত দুটি নির্বাচনে আপনার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইতে বাতিল হয়েছে, এবার সহজেই গ্রহণ হলো- এমন প্রশ্নে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সব সময় ষড়যন্ত্র থাকে। আমরা সব সময় উজান বেয়ে এসেছি। পাকিস্তান আমলে বেয়েছি। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে প্রতিবাদ করে তখনো বেয়েছি। এখনো বেয়ে চলেছি। তবে এবার প্রার্থিতা গৃহীত হওয়ায় আমার কর্মী-সমর্থকরা খুশি।এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন তার বড়ভাই সাবেক মন্ত্রী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়সহ সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সবার মনোনয়পত্রই বৈধ হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c30adfc862, আমাদের সময়, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়লেন ডলি সায়ন্তনী," পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মু. আসাদুজ্জামান। এ ব্যাপারে ডলি সায়ন্তনী বলেন, কার্ডের বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। বিষয়টি আমি শিগগিরই সমাধান করে আপিল করব। আপিলে আমার মনোনয়নপত্র ফিরে পাব বলে আশা প্রকাশ করছি।এর আগে গত ২৯ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজেই উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। ওই সময় তিনি বলেন, আমার জন্ম পাবনা শহরের সোনাপট্টি এলাকায়। দাদার বাড়ি সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভায়না গ্রামে। সেখানে আমার চাচারা থাকেন। এ জন্য আমি সেখানে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি পাবনা-২ আসনের মানুষ আমার পাশে থাকবে। গত ২৭ নভেম্বর বিএনএমে যোগ দেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2f4b3d21, আমাদের সময়, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না আ.লীগের নির্বাচনী ট্রেন: ১২ দলীয় জোট," স্টেশনে বিকল হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ, রাজবন্দীদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে অবরোধের সমর্থনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন জোট নেতারা।সমাবেশের আগে অবরোধের সমর্থনে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল বের করেন জোটের নেতারা। মিছিলটি বিজয় নগর হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘এ সরকারের পতনঘণ্টা অতীব নিকটে। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে এখন বিভিন্ন দলছুট নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে।’দলছুট নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অবৈধ ভোটে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। শেষ বেলায় গিয়ে দেখবেন এই প্রতারক আওয়ামী লীগ আপনাদের একটি করে শেখ মুজিবের কম্বল ধরিয়ে দেবে।’জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নাই। তারা এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর ভরসা করে টিকে আছে। তারা দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় রাখলে বাংলাদেশ কঠিন বিপদে পড়বে।’জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ‘স্যাংশন চাপে আওয়ামী লীগ এখন পশ্চিমা কূটনীতিকদের হাতে-পায়ে ধরা শুরু করেছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকার জানে এবার বিদায় হলে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা বাংলার মাটিতে থাকবে না। তাই তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য রাশিয়া -ভারতকে প্রভু বলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশবাসী হুশিয়ার থাকবেন।’বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর মাওলানা আব্দুল কারিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, হামিদুল করিম আব্বাসী, ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য জোটের ইলিয়াস রেজা, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মোঃ আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2ab04ea1, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বিএনএম -এর প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার," চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মোহাম্মদ আব্দুল মতিনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।গতকাল শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে মতিনকে বহিষ্কারে বিষয়টি জানানো হয়।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আব্দুল মতিন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সমর্থকেরা। জেলা ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মতিন ২০১১ সালে বিএনপির সমর্থনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তবে, দল থেকে পদত্যাগ না করেই তিনি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়। মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করতে চাইলেও স্থানীয় নেতারা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। তবে বিএনএমে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে সরকারকে হটানো যায়নি। প্রকাশ্যে কোনো নেতা কথা বলতে পারছেন না। তাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই।তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুর্নীতিবাজ নই। মানুষ মারার রাজনীতি করি না। যেখানে আমার চিন্তার অবমূল্যায়ন, সেখানে না থাকাই শ্রেয়।’বহিষ্কারাদেশ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ তবে সেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় তুলে ধরা হয়নি।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুল মতিন কাউকে না জানিয়ে নির্বাচনে বিএনএমের প্রার্থী হয়েছেন। আর এজন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c28934534, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘‌আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝে গেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হতে যাচ্ছে’," আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝে গেছে বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসন হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।গতকাল শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গত ৩০ নভেম্বর পরবর্তী রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বাস্তবতাকে উন্মোচিত করতে গেলে যে কঠিন সত্যিটি উল্লেখ করতে হচ্ছে তা হলো- সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনটিকে তাদের নির্বাচনে বিজয়ের দিন বলে উল্লাস করছে। এটা যে তাদের জন্যে কত বড় ভ্রান্তিবিলাস তা তারা আজ বুঝতে না পারলেও এ ভুলের জন্যে জনতার আদালতে আওয়ামী লীগকে আগামীতে যে বিশাল মূল্য দিতে হবে, সেটা তারা আজ কল্পনাও করতে পারছে না।ক্ষমতার মোহে ও অর্থবিত্ত আহরণের লোভে অন্ধ হয়ে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গেছে যা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্যেই অচিরেই মারাত্মক এক পরিণতি ডেকে আনবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকারকে চিরতরে হরণ করার সরকারের এই যে কাণ্ডজ্ঞানহীন চিন্তাধারা যা বাংলাদেশেকে ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী সার্কাসের দিকে ধাবিত করছে সেটা আজ শুধু দেশের ভেতরে নয়, বরঞ্চ সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মননশীল মানুষের সামনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি কলঙ্কময় ভাবচিত্র প্রতিস্থাপন করবে।তিনি আরও বলেন, ‘বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উচ্ছ্বাস কিংবা আগ্রহ কোনটাই নেই। এটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে কোনো রূপ ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেছে। কারণ, নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে, মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন বাংলাদেশে চিরতরে ফুরিয়ে গেছে। ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে এই যে নির্বাচন নির্বাচন খেলা, সেটির পরিণাম কখনোই জাতির জন্যে মঙ্গলজনক হতে পারে না।’বিএনপি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য, জনগণের ভোটাধিকার পূর্নবহালের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলন চলতেই থাকবে যতদিন না গণমানুষের এই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়, যোগ করেন আব্দুল মঈন খান। বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পাতানো নির্বাচনের তফসিল বর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল, সরকার তা আমলেই নেয়নি। ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, নির্বাচনের নামে এখানে কত বড় প্রহসন হতে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এদেশে জনগণের আন্দোলন কখনোই বৃথা যায়নি। এবারও যাবে না। সরকার মনে করেছে, আগের মতো এবারও এক তরফা একটি নির্বাচন করে স্বাচ্ছন্দ্যে ক্ষমতায় থাকবে, সেটা হওয়ার নয়, কেননা এখন ২০১৪ বা ২০১৮ নয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c403f58919, আমাদের সময়, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, চেম্বারে লতিফের নির্বাচনী সভার তীব্র সমালোচনা," চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এমএ লতিফ গত সোমবার চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্সে যুবলীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় তিনি আসন্ন নির্বাচনে নৌকাকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করতে যুবলীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।এমএ লতিফের এই সভার তীব্র সমালোচনা করেছেন তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমন আমাদের সময়কে বলেন, এমএ লতিফ কোনো দিন আমাদের লোক ছিলেন না। আমরা তাকে ধার (হায়ার) করে এনেছিলাম নির্বাচন করতে। এরপর তিনি টানা তিনবার এমপি হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তৃণমূলের একজনকে তাদের প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীই আমাকেসেই সুযোগ দিয়েছেন। কাজেই এখন তো লতিফের আর দরকার নেই। জিয়াউল হক সুমন বলেন, এমএ লতিফ চট্টগ্রাম চেম্বারকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করছেন। ব্যবসায়ীদের উচিত তার এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।চট্টগ্রাম চেম্বারের মিলনায়তনে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা নিয়ে কথা বলতে একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী আমাদের সময়কে বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব দেওয়া অনেক ব্যবসায়ী নেতা পরবর্তী সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংসদ সদস্য হয়েছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন। প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মতো ব্যবসায়িক নেতা একসময় চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে তিনি এফবিসিসিআই, এমনকি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেম্বারেরও নেতা হন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু তাদের কেউই এভাবে চট্টগ্রাম চেম্বারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেননি।চট্টগ্রাম চেম্বারের বর্তমান সভাপতি ওমর হাজ্জাজ হলেন এমএ লতিফের পুত্র। যুবলীগের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে চেম্বার মিলনায়তনে এমএ লতিফের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে তাকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এমএ লতিফের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বারবার তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এমএ লতিফ চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি। গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে চেম্বারের নেতৃত্ব তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে এমএ লতিফ টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। ওই নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বড় একটি অংশের নেতাকর্মীরা তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন।তবে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমএ লতিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পিতার বিরোধিতা করে, পিতার ঘরে থাকার অধিকার সন্তানের থাকে না। নৌকার বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগে থাকারও কোনো সুযোগ নেই। যে পাত্রে খাবেন সে পাত্র ছিদ্র করার মতো নেমকহারামি না করে দলের পদ-পদবি ছেড়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে আসুন। তিনি আরও বলেন, যিনি আওয়ামী লীগ করেন, তিনি শেখ হাসিনার নৌকায় কুড়াল মারতে পারেন না। যারা নৌকার গায়ে কুড়াল মারতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা কুড়াল মার্কার ফ্রিডম পার্টির লোক।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2722b20d2, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ‘ডামি নির্বাচন’ বাতিলের দাবি জেএসডির," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে অতিদ্রুত নির্বাচন বাতিল ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের মর্যাদা সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব)Ñ জেএসডি। গতকাল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে বলেন, গণঅভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতাহীন প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচনের সার্কাসে রূপান্তর করার রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজনে ডামি প্রার্থী রাখার সরকারি ঘোষণা বা নির্দেশনা পুরো নির্বাচনকেই ডামি নির্বাচন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিহ্নিত করে ফেলেছে। প্রজাতন্ত্র সাংবিধানিকভাবে কোনো ডামিনির্বাচনের আয়োজন করতে পারে না।অন্যদিকে নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার-সমঝোতা এবং বিভিন্ন প্রার্থী কেনাবেচা বা জিম্মি করার কাজে সরকার অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সংস্থার মর্যাদা ধূলিসাৎ করার অপকৌশল গ্রহণ করেছে। সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে সংবিধানবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করা বা রাষ্ট্রীয় সংস্থার মর্যাদা বিপন্ন করা থেকে সরকারকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর মর্যাদার সুরক্ষা দিতে হবে।বিবৃতিতে অবিলম্বে একতরফা প্রতিযোগিতাহীন ডামি নির্বাচনের সার্কাস বাতিল ও সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2a37759f, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যায় যা বলল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক ৩৩ সংসদ সদস্যসহ ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এটিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে এক পোস্টে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য বড় সংখ্যক প্রার্থী ঘটা করে এবং উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সারা দেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বেধে দেওয়া সময়ে দেশের ৪৪টি রাজনৈতিক দলেরর মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল থেকে মোট ১ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে-আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪, জাকের পার্টির ২১৮, তৃণমূল বিএনপির ১৫১, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ এবং বাকি দলগুলোর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।এতে আরও বলা হয়েছে, অনেক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা নির্বাচন কমিশন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপির সাবেক ৩৩ সংসদ সদস্যসহ ৭৪৭ জন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন তুলে ধরে।বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রের বার্তায় বলা হয়, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে, অবরোধ, হরতাল করছে এবং নির্বাচন বয়কট করছে।মন্ত্রণালয়ের ওই বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়পত্র ১-৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো প্রার্থী চাইলে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c271ddef72, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নয় সরকার নাটক করছে," নির্বাচন নয়, সরকার নাটক করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন জোর করে দমানো যাবে না। এ লড়াইয়ে আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তারা এসব কথা বলেন।সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি) ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলেরউদ্যোগে গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যার বিচার, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা, দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, কর্মচ্যুতদের কাজে পুনর্বহাল ও ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিকনেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে যারাই আন্দোলন করছে তাদের গ্রেপ্তার করে রাখা হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে অসুস্থাবস্থায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যারা লড়াই করছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমু চৌধুরীসহ সব নেতাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যারা আমার-আপনার পক্ষে কথা বলবে, যারা আমার-আপনার জন্য লড়াই করবে তাদের মুক্তির দাবি আমাদের জানানো উচিত, আমরা তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা এসব গায়েবি মামলা বন্ধ করতে বলি। আমরা বলি, যাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক এবং তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হোক।জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেন, মাফিয়া, কর্তৃত্ববাদী এই সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ’১৪, ’১৮তে ক্ষমতায় বসেছে। এখন আবার একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। শ্রমিকদের আন্দোলন, কৃষকদের আন্দোলন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন আজকে একীভূত, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করে দাবি আদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার হুমকি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। এখন আবার বলছে, নির্বাচন কি (বিরোধীরা) বন্ধ করতে পারবে? আমরা (ক্ষমতাসীনরা) তো মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। আমি বলি, এটা কী, কোন নির্বাচন? এতে মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু ওরা নাটকের মতো স্টেজের মধ্যে অনেকগুলো সেন্টার সাজাবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এমন একটা কাহিনি তৈরি হয়েছে। আমলা- যারা চাকরি করে দুইদিন আগে চাকরি ছেড়েছে, আজকে তাকে নমিনেশন দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী তার নিজের অফিসে বসে তার দলের লোকদের নমিনেশনের পেপারে স্বাক্ষর করছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস কি তার দলীয় অফিস? এখন পর্যন্ত বিরোধী দলের মধ্যে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া তারা (সরকার) তৈরি করতে পারেনি।সরকার যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এই সরকার আপনার-আমার ভোটের তোয়াক্কা করে না। সে মনে করে বিজেবি-র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারে। যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন পার করেই ডা-া পিটিয়ে তারা দেশের মানুষ ঠান্ডা রাখে। এবার কিন্তু আপনি-আমি কিছু বলি আর না বলি, জনগণ কিছু বলুক আর না বলুক- পশ্চিমা বিশ্ব তারা কিন্তু কিছু বলবে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার নতুন নীতিমালা ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক বাজার ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, সরকার বিভিন্ন মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে এই নির্বাচন নাটকে নিয়েছে। বীরউত্তম শাহজাহান ওমর আজন্ম বিএনপি করেছেন, আওয়ামী লীগকে মন থেকে ঘৃণা করেন। একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষ কত চাপ নিতে পারবেন? ব্ল্যাকমেইল করে শেষ পর্যন্ত তাকে নৌকায় উঠাইছেন। এভাবে জবরদস্তি করে মানুষকে নৌকায় উঠিয়ে সেই নৌকা গন্তব্যে যেতে পারবে না।সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের নির্বাহী সমন্বয়ক এএএম ফয়েজ হোসেন বলেন, এই নির্বাচনে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের কোনোই আগ্রহ নাই। আমরা আগামী এক মাস সময় দিচ্ছি সরকারকে; এক মাসের মধ্যে যদি আমাদের দাবিসমূহ মানা না হয়, তা হলে ধর্মঘটসহ অন্যান্য কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের নির্বাহী সমন্বয়ক আব্দুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c23e3042d, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুল রশিদ শ্যামল ও সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।তৃণমূল বিএনপি থেকে শেরপুর-২ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জায়েদুল রশিদ শ্যামল। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে শেরপুর-১ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মো. আব্দুল্লাহ।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে এ দুই নেতার দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।বৃহস্পতিবার শ্যামল তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম থেকে আব্দুল্লাহ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর রাতেই কেন্দ্র থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।,Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c267d90ab8, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, বিএনপি চায় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন করতে," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোকে ধন্যবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলন কীভাবে আরও বেগবান কিংবা নির্বাচনকে আরও কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন করা যায়- সে চেষ্টাও চালাবে দলটি।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে যেসব দল নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব দলকে বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হবে। দলগুলোকে চলমান আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হবে।’বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, যেসব দল নির্বাচনে যাচ্ছে না, সেসব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।দৈনিক আমাদের সময়কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^রচন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের সুবিধাভোগী ছাড়া দেশের সব জনগণ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বেশিরভাগ দলের নির্বাচন বর্জনে তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা আশা করি, দেশের সব রাজনৈতিক দল এবারের আন্দোলনে মাঠে নামবে।’দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় নেতা। তারা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহ-সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব এবং একেএম ফখরুল ইসলাম। বাকি ছয়জন তৃণমূলের।বহিষ্কার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসানহাবিব এবং ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।রাবেয়া সিরাজ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী। টাঙ্গাইল-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তার মেয়ে শুক্লা সিরাজ। আর দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়ের পক্ষে কাজ করছেন রাবেয়া।জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- শেরপুর জেলার সহদপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলার সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন। তাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুর-১ আসনে আবদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল মতিন, তৃণমূল বিএনপি থেকে শেরপুর-২ আসনে জায়েদুল রশিদ শ্যামল, পঞ্চগড়-২ আসনে আব্দুল আজিজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান এবং ঢাকা-২০ আসনে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এক সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই- এমন কয়েকজন সংসদ সদস্যও এবার নির্বাচন করছেন।এদের মধ্যে সদ্য নিবন্ধিত তৃণমূল বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে নির্বাচন করছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের এমএম শাহীন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমএ আউয়াল, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এইচএম গোলাম রেজা, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ ও মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি।বিএনএমে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে শাহ আবু জাফর ছাড়াও আছেন বরগুনা-২ আসনের আবদুর রহমান, সাতক্ষীরা-৪ এইচএম গোলাম রেজা, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ এবং সুনামগঞ্জ-৪ দেওয়ান শামসুল আবেদিন।স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে জিয়াউল হক মোল্লা, কুমিল্লা-৫ আসনে শওকত মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আখতারুজ্জামান ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে দেলোয়ার হোসেন খান দুলু।এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, তাদের হিসাবে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৬০টি দল এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে। এ তালিকায় রয়েছে- বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, বিজেপি (পার্থ), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, খেলাফত মজলিশ, মুসলিম লীগ, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাগপা (রাশেদ প্রধান), জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি (ফারুক), ইসলামিক ঐক্যজোট, ন্যাপ ভাসানী, ইসলামিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় দল। তালিকায় আরও রয়েছে- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (লুৎফর), বিকল্পধারা বাংলাদেশ (নুরুল আমিন বেপারী), গণদল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, পিপলস পার্টি, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), গণফোরাম, পিপলস পার্টি (একাংশ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (একাংশ), গণঅধিকার পরিষদ (রেজা), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ (নুর), সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, গণমুক্তি ইউনিয়ন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাসদ (মাহবুব), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ জাসদ।শেষমেশ নির্বাচনে যাননি যারাবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনের নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন ছিল। এ ছাড়াও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব) এম আনোয়ারুল আজিম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। কারাবন্দিদি নেতাদের নিয়ে নানা গুঞ্জন ছিল। গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সেই গুঞ্জনের অবসান ঘটেছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c267d8bd73, আমাদের সময়, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রীরা গণবিচ্ছিন্ন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ট্রেনে ওঠা সব যাত্রী গণবিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নগদ টাকায় কেনা কিছু গণশত্রুকে ছলেবলে কৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে ট্রেনে তুলেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশিত নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি ভোট ডাকাতির উৎসবের পথ বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে তা ভোটারদের নয়, জনগণের জন্য নয়, এটা হতে চলেছে শেখ হাসিনার আরেকটি কদর্য রাজ্যাভিষেকের উৎসব।’বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বিভিন্ন দল থেকে অচ্ছুত লোকজন হায়ার করে নিয়ে ডাকাতির নির্বাচনী ট্রেনে চড়েছেন, সেই ট্রেন মুক্তিকামী জনতা গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না।বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের বিরুদ্ধে ভারত অবস্থান নিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ভারতের সমর্থন শক্তিতে আওয়ামী লীগ দেশটাকে গিলে ফেলেছে। ১৫ বছর ধরে কেউ ভোট দিতে পারছে নাÑ লাখ মানুষ কারাবন্দি। কোটি কোটি মানুষ ঘরে থাকতে পারে না। প্রতিবছর কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার লুটে নিয়ে যায়।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c21bbc78712, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, প্রতীক বরাদ্দের আগেই গজারিয়ায় দেয়ালে দেয়ালে রঙিন নির্বাচনী পোস্টার," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগেই মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকা গজারিয়ায় দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা করে রঙিন পোস্টার।সরেজমিন দেখা যায়, গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ সড়কের দুদিকের দেয়ালে, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। বাদ যায়নি স্কুল-কলেজ ও মসজিদ-মাদ্রাসার দেয়ালও। এসব পোস্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর কোনো প্রার্থী এ ধরনের প্রচার কোনো বস্তু দৃষ্টিগোচর হলে আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ছয় মাস কারাদ- অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হবেন। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আচরণবিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে সেই দলও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দ-িত হবে।গজারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ পোস্টার লাগালে তা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে প্রচার চালিয়ে পোস্টারিং করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি জানেন না। আর এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যও কেউ তাকে জানায়নি। এ ব্যাপারে তিনি জানান খোঁজ খবর নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c21bbc7fc8, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা সাদা দলের," আগামী ১২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। বিষয়টি নীল দলের একাধিক সদস্য আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল দুপুরে ঢাবি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।লুৎফর রহমান বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সাদা দল বর্জন করায় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেইনি। গত প্রায় দেড় দশক ধরে বর্তমান সরকার সমর্থক প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও ব্যাপক মাত্রায় দলীয়করণ করেছে। শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে উপেক্ষা করে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভিন্ন মত এবং আদর্শের শিক্ষকদের যথাসময়ে পদোন্নতি না দেওয়াসহ তাদের নানাভাবে হয়রানির কথাও সবার জানা। হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দলমতের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দলীয় পরিচয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল ছাড়া, এমনকি পুলিশেও সোপার্দ করা হচ্ছে। অতীতে সবকটি নির্বাচনে অংশ নিলেও এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুকূল পরিবেশ নেই।এদিকে এবারের নির্বাচনে নীল দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসছে না। সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবারও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুস ছামাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ পদে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c223dc4f32, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবারও হচ্ছে না : টিআইবি," ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সত্যিকারার্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটি আমরা এবারও পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের একটা বড় কারণ।’গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার : টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। নির্বাচনে আসনভিত্তিক ফলের বদলে একটি দলের ভোটের অনুপাতে জাতীয় সংসদের আসন বণ্টনের সুপারিশ করে টিআইবি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘৫০ বছর ধরে আমরাআসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা করেছি। আমরা মনে করি, এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করা।’ এ বিষয়ে আলোচনার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না এটি এখনই করে ফেলা যাবে। এটি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের জন্য আইনি সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে টিআইবি। সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন এবং প্রধানমন্ত্রী হলে দল থেকে পদত্যাগের সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসহ তথ্য অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে ৯টি ক্ষেত্রে ৭৬টি সুপারিশ করা হয়। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকবে জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ তারা (সরকার) বিবেচনা করছে না, সেটা বলব না। আমরা দেখেছি যে আমাদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করেছে।’বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচনে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে পরিমাপকগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করেছি, তাতে মোটামুটি ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, সত্যিকারার্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটি আমরা এবারও পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের একটা বড় কারণ।’নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে জনগণের ভোটে আস্থা ফিরবে না জানিয়ে টিআইবি প্রধান বলেন, ‘৯০ পরবর্তী গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় যে বিষয়টি বারবার আলোচনায় এসেছে, তা হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন। যে কোনোভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c216fdbda5, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সংকট সৃষ্টি হবে -তৈমূর আলম," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার ভুক্তভোগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। গতকাল সকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা-৮ আসনের দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।তৈমূর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন- এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে। কিন্তু আমরা গতকালই দেখেছিÑ সরকারদলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তারা বড় বড় শোডাউন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এক প্রার্থী তো অস্ত্র প্রদর্শন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের (রূপগঞ্জ) বর্তমান এমপি এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে হারাতে পারবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম বলেন, কোনো ব্যক্তিকে শক্তিশালী মনে করি না। আবার ছোট করেও দেখি না। নির্বাচনে মন্ত্রী কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো জনগণ। সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের কথা বলছে, তাদের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে হাজির হতে বলুন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2152dd5310, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ," কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।ব্রিফিংকালে একজন প্রশ্ন করেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী নেতাকর্মী ও সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমনপীড়ন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন? তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।জবাবে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন তারাও দেখেছেন।স্টিফেন ডুজারিক বলেন, কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আবার আহ্বান জানাই।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2152de8814, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, আ.লীগ নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলছে," ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মতো তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ও দলের লোকদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলছে আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ না, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে ইইউ। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে একজন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও একজন নৌকার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটাকে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন বলছে। এ জন্য সবাইকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেছে- এটিপ্রতারণা ও ভ-ামি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে শিষ্টাচার মেনে চলতে বলেছেন। এ কথা কি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বলা যায়? আপনারা জনগণ, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কী শিষ্টাচার করছেন?’মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী শারীরিকভাবে আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এতে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এটি কোন ধরনের শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, সেই প্রশ্নও তোলেন।হরতাল সমর্থনে ঢাকাসহ সারাদেশে মিছিল : গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচির সমর্থনে মিছিল করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা রাজনৈতিক দল। সকালে রাজধানীর গুলশান ও উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে অংশ নেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, ডা. শরিফুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমীন নিলু প্রমুখ।মতিঝিল, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। এতে দক্ষিণের সভাপতি এএ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার নেতৃত্ব দেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে দুপুরে খিলক্ষেত এলাকায় মিছিল করেছে ছাত্রদল। বঙ্গবাজার এলাকায় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে। গুলশানে ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে মিছিল করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রূপনগর মিছিল করেছে শ্রমিক দল। হরতালের সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে মতিঝিল এলাকায় মিছিল হয়েছে।সমমনা দল : দুপুরে প্রেসক্লাব, কাকরাইল ও বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। একই সময়ে বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। ১২-দলীয় জোটের উদ্যোগেও মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এতে অংশ নেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান প্রমুখ। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও কর্মসূচিতে সমর্থন করে বিজয়-৭১ চত্বরে কর্মসূচি পালন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এতে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, কেন্দ্রীয় নেতা বিএম নাজমুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন রানা প্রমুখ। এ ছাড়া এদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণফোরাম (মন্টু), নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, ড. রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সকালে পল্লবী, মিরপুর, বাড্ডা, তেজগাঁও, উত্তরা, আদাবর, মতিঝিল, শনিরআখড়া, মুগদা, লালবাগ ও ডেমরায় বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2152db979, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, দলের প্রতি অভিমান থেকে নির্বাচনে গেলেন না রওশন," নিজ দলের প্রতি অভিমান থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গেলেন না জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। এদিনও রওশন এরশাদ এবং তার অনুসারী নেতাদের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শর্তপূরণ না হওয়ায় তিনি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। অন্যদিকে জাপার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ভাষ্য- রওশন এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে ১৩ আসন খালি রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্বাচনে না আসায় ময়মনসিংহ-৪ অর্থাৎ রওশনের আসনে আবু মোছা সরকারকে মনোনয়ন দেয় জাপা। অন্য ১২টি আসনও আর পূরণ করেনি জাতীয় পার্টির বর্তমান নেতৃত্ব।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের সঙ্গে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের দ্বন্দ্ব পুরনো। একেক সময় একেক ইস্যুতে এই দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়েছে। এবারের দ্বন্দ্ব ছিল দলীয় মনোনয়ন ঘিরে। গত ১৮ নভেম্বর দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে রওশন জানান- তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে যেতে রাজি। একই দিন ইসিতে আরেকটি চিঠি পাঠান দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ওই চিঠিতে তিনি জানান, দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার স্বাক্ষরে। একই সঙ্গে দলগতভাবে বা জোটে নির্বাচনে যাওয়ার কথাও তিনি জানিয়ে দেন। ওই চিঠি থেকে একটি বার্তা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সাংগঠনিকভাবে জাতীয় পার্টিতে রওশনের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ নেই।এর আগে নির্বাচন ইস্যুতে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে সংলাপের আহ্বান জানান জিএম কাদের। যদিও সেখান থেকে বেরিয়ে এসে জানান, সেটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর পর ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানান রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পেছানোর অনুরোধও করেন।জাতীয় পার্টি মনোনয়নপত্র বিতরণকালে দল থেকে একাধিকবার মনোনয়ন নেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও রওশন তার নিজের আসনসহ সাদ এরশাদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা, গোলাম মসীহ, কাজী মামুন, ইকবাল হোসেন রাজু, এমএ গোফরান, এসএমএম আলম, অধ্যাপক দেলোয়ার, দয়াল কুমার বড়ুয়া, নুর ইসলাম নুরু, জিয়াউল হক মৃধা, আকতার হোসেন, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের জন্যও মনোনয়ন চান। কিন্তু রওশনের বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান ছাড় দিতে চাইলেও অন্যসব প্রার্থীর বিষয় আমলে নেননি। বরং জিএম কাদের লালমনিরহাটের আসনে অন্যজনকে মনোনয়ন দিয়ে তিনি রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন নেন। এতে করে সাদ এরশাদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে মসিউর রহমান রাঙ্গার বিষয়ে দলের মহাসচিব জানান, রাঙ্গার দলের প্রাথমিক সদস্য পদই নেই। সুতরাং তাকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব না।রওশন এরশাদের দল থেকে ইতিবাচক সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি গত বুধবার রাতে তার নিজ বাসভবনে বসে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর একদিন পর রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন প্রদানে অনিয়ম করেছেন। তিনি এর সমালোচনার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা করেন। একই সঙ্গে বেগম রওশন এরশাদ এমপির (ময়মনসিংহ-৪) আসনে জনৈক আবু মুসাকে মনোনয়ন প্রদানকে ‘ধৃষ্টতা প্রদর্শন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জন্য জিএম কাদেরের নেতৃত্বে একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।এদিকে রওশনের আসনে আবু মোসাকে মনোনয়ন দিলেও বাকি ১২টি আসন শেষ পর্যন্ত খালি রয়েছে। এগুলো হলো- শেরপুর-২, ফরিদপুর-২, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-৩, শরীয়তপুর-১, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৩, মৌলভীবাজার-৪, হবিগঞ্জ-২, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম ১০ ও চট্টগ্রাম-১১।নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় রওশন ও তার অনুসারীরা এখন কোন পথ বেছে নেবেন? এমন প্রশ্ন এখন জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মনে। জানতে চাইলে রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ আমাদের সময়কে জানান, দলের নেতৃবৃন্দের অনিয়মে ক্ষোভ ও অভিমান থেকে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি নির্বাচনের পর দেখা যাবে।জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আমাদের সময়কে বলেন, রওশন এরশাদ আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধার মানুষ। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। একপর্যায়ে তার আসন খালি রেখে মনোনয়ন ঘোষণা করি। এর পরও তিনি মনোনয়ন ফরম নেননি। অবশেষে আবু মোসাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি ১২টি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি রওশন ও তার অনুসারী কোনো নেতা।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদের সঙ্গে জিএম কাদেরের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত জিএম কাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করা নিয়ে বেশ সংকটে পড়ে জাতীয় পার্টি। একপর্যায়ে রওশনকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এরশাদ। পরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উপনেতা বানান ছোটভাই জিএম কাদেরকে। এর কিছু দিন পরই জিএম কাদেরকে সরিয়ে পুনরায় উপনেতা বানান স্ত্রী রওশন এরশাদকে। এরশাদ মারা যাওয়ার পর জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান হন। কিন্তু এ নিয়ে রওশনের সঙ্গে বিরোধ আরও বাড়ে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1fe525cf, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা," ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।লিখিত বক্তব্যে লুৎফর রহমান বলেন, ‘আগামী ১২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সে মোতাবেক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল এ নির্বাচন বর্জন করায় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেইনি।’তিনি আরও বলেন, ‘গত প্রায় দেড় দশক ধরে বর্তমান সরকার-সমর্থক প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও ব্যাপক মাত্রায় দলীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে অনেক ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাকে উপেক্ষা করে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভিন্নমত ও আদর্শের শিক্ষকদের যথাসময়ে পদোন্নতি না দেওয়াসহ তাদের নানাভাবে হয়রানির কথাও সকলের জানা। হল প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র একদলীয় নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করা হয়েছে। হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দলমতের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ঐতিহ্যকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দলীয় পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন নির্যাতন করে হল ছাড়া, এমনকি পুলিশেও সোপার্দ করা হচ্ছে।’লুৎফর রহমান বলেন, ‘সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফলাফল যাই হোক না কেন, সবসময় এ দলটি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না। দেশে একটি একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বর্তমান সরকার এবং তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের পরিচালিত আন্দোলনে আমরাও সমর্থন জানিয়ে আসছি। আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি।’তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে। তাই গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাদা দলের সাধারণ সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাদা দল আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদ নির্বাচন ২০২৪” বর্জন করছে। আমরা আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকবান শিক্ষকগণ ও গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণ আমাদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।’এ সময় সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1ff31cbc, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি বিলুপ্ত হবে: কৃষিমন্ত্রী," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি বিলুপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল-১ আসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তারা বারবার ভুল করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তারা অপরাধী। বেগম খালেদা জিয়াও এতিমের টাকা চুরি করায় তার শাস্তি হয়েছে। কাজেই তারা মনে করে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। তারা নির্বাচন এলে দাঁড়াতে পারে না। কারণ বিএনপির নেতৃত্ব অন্য কেউ নিয়ে নেবে। আন্তর্জাতিক মহলও পর্দার অন্তরাল থেকে বিএনপিকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করার জন্য বলে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসছে না। এ দেশে মুসলিম লীগ নামে একটি দল ছিল, সেটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমেও বিএনপি বিলুপ্ত হবে।’কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে আনার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে ৩৮ মিনিট টেলিফোনে কথা বলেছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া নেত্রীর আহ্বানে সাড়া দেননি। তিনি (খালেদা জিয়া) মনে করেছিল আন্দোলন, সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস, রেললাইন তুলে, বিদ্যুত লাইক কেটে, গাড়িতে আগুন, পুলিশ হত্যা করে আন্দোলন সফল করবে এবং তাদের ইচ্ছে মতো নির্বাচন কমিশন করে, একটি ভূয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে। সাড়া জাতি ঐক্যবদ্দভাবে তাদের সন্ত্রাস, আন্দোলনকে প্রত্যাখান করেছে। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এসেছিল, কিন্তু সেই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের নেতা থাকে বিদেশে, দেশে আসার সাহস নেই।’ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সারা বিশ্বের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2026b3e8 , আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আক্কাসকে অব্যাহতি দিলেন চরমোনাই পীর," নীতি-আদর্শ পরিপন্থী এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে কুড়িগ্রাম-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. আক্কাস আলী সরকারকে উপদেষ্টা পরিষদসহ সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এজন্য ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম তাকে অব্যাহতি দেন।উল্লেখ্য, আক্কাস আলী ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় প্রধান এইচ এম এরশাদের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে তিনি চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিলে তাকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c200179fe, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩," ‘নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সংকট সৃষ্টি হবে, ভুক্তভোগী হবেন প্রধানমন্ত্রী’"," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে যে জাতীয় সংকট সৃষ্টি হবে, সেই সংকটের ভুক্তভোগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা-৮ আসনের দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছেন এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে, কিন্তু আমরা গতকালই দেখেছি সরকার দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তারা বড় বড় শোডাউন করে মনোনয়ন দাখিল করছেন।’তিনি বলেন, ‘এক প্রার্থী অস্ত্র প্রদর্শন করে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। সেসব ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এসব ছবি আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাব। প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছেন আমি আশা করব তিনি সেই অঙ্গীকার রক্ষা করতে সক্ষম হবেন।’তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু না হয় তাহলে জাতীয় সংকট সৃষ্টি হবে। আর এ সংকটের ভুক্তভোগী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের (রূপগঞ্জ) বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে হারাতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘কোনো ব্যক্তিকে শক্তিশালী মনে করি না। আবার ছোট করেও দেখি না। আমি আল্লাহকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বিশ্বাস করি। সুতরাং নির্বাচনে মন্ত্রী কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো জনগণ।’সরকারের সঙ্গে আপনারা নাকি আসন ভাগাভাগি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের কথা বলছে তাদের তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হতে বলেন।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c2152d9151, আমাদের সময়, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, এ নির্বাচনে বিএনপি বিলুপ্ত হবে," আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এ দেশে মুসলিম লীগ নামে একটি দল ছিল, সেটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিও বিলুপ্ত হবে।’ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা বারবার ভুল করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। আদালতের রায়ে তারা অপরাধী। এতিমের টাকা চুরি করায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও শাস্তি হয়েছে। কাজেই তারা মনে করে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। তারা নির্বাচন এলে তো দাঁড়াতে পারে না। আন্তর্জাতিক মহলও পর্দার অন্তরাল থেকে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলছে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসছে না।ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়নি। আগামী নির্বাচনও আন্দোলনের একটি অংশ। আমরা এ নির্বাচনে বিজয়ী হব। কেউ কেউ যদি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে, সেটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সাধারণ ভোটার ও আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে থাকবে, দলের জন্য কাজ করবে। আমি জয়ের ব্যাপারে ১০০ ভাগ আশাবাদী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1f47f8f9, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, এবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাচ্ছি না: টিআইবি ," এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা জানান।তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে পরিমাপকগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করেছি, তাতে মোটামুটি ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটি আমরা এবারও পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের বড় কারণ।’অংশগ্রহণমূলক না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা যাবে তাও নির্ধারণ হবে। কিন্তু ভোটের অধিকারভিত্তিক যে নির্বাচন তা নিশ্চিত করা যাবে না, জনগণের আস্থা এ ভোটের ওপর নিশ্চিত হবে না।’আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকারের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৭৬ দফা সুপারিশ উত্থাপন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করে। সব প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ভূমিকা পালনে যে প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক দল। কারণ, ক্ষমতা রাজনৈতিক দলের হাতে। যারা ক্ষমতায় থাকেন তাদের হাতেও ক্ষমতা, যারা ক্ষমতার বাইরে থাকেন তাদের হাতেও রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে। যাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, তাদের মধ্যে যদি এই সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তাহলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় যে অপ্রাপ্তি আছে সেগুলো পূরণ হবে।’তিনি বলেন, ‘৫০ বছর ধরে আমরা আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা করেছি। আমরা মনে করি এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করা। এ বিষয়টি আমরা এখন পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা বলছি না এটি এখনই করে ফেলা যাবে। এটি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1f445f3e, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচন করবেন না রওশন, যা বললেন কাদের"," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রওশন এরশাদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার দল নির্বাচন করছে। এটা জাতীয় পার্টির নির্বাচন বয়কটের মধ্যে পড়ে না।আজ বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া এবং আওয়ামী লীগের চাওয়া একই। আমরাও তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে তারা যা বলেছে, আমরাও তা-ই চাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায়, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক।’তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সহযোগিতা চায় আওয়ামী লীগ। জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।’পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন আশা করে সরকার। আর জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ। জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1e964587, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩," বাংলাদেশের নির্বাচনে কেন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, জানাল জাতিসংঘ"," জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন–পীড়ন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?জবাবে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না।তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি তারা আহ্বান জানান।এর আগে গত অক্টোবর মাসে এক ব্রিফিংয়ে ডুজাররিক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একই সঙ্গে এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষ ভয় ছাড়াই যেকোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1c090039, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না রওশন," অবশেষে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।এর আগে রওশন এরশাদের ময়মনসিংহ-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে আবু মুসা সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়।গুলশানের বাসায় বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও তপশিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি। বর্তমান নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। বর্তমানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব সহযোগিতা না করার কারণে দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মনোনয়ন প্রদান করা হয়নি। এমতাবস্থায় দলের ও নেতাদের অবমূল্যায়ণ করার কারণে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1be517dd, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন না করার ঘোষণা শাকিল খানের," বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিল খান। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।এর আগে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী, গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগনে শাহরিয়ার নাজিম।শাকিল খান বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।’নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি।বাগেরহাট-৩ আসন থেকে শাকিল খানসহ অন্তত ১১ জন নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দল থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1c30c5951, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে," আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা রকমের ষড়যন্ত্র চলছে। তারপরও আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনারা দোয়া করবেন তিনি যেন নির্বাচিত হয়ে তার গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারেন।বুধবার দুপুরে পৌরশহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে তার নির্বাচনী এলাকা নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংসদ উপনেতা।এ সময় মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে একমত না তাদের মতকেও আমরা শ্রদ্ধা করি। গণতন্ত্র মানেই ভিন্ন মতকে শ্রদ্ধা করা। তাই অতীতে আমি যদি কাজ করতে গিয়ে আপনাদের সঙ্গে কোনো ভুল করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। একইসঙ্গে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।পরে সংসদ উপনেতা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিলের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ কুরুনী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারমক আহমেদ বকুল, মোশাররফ হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরকার, ত্রাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আবুবকর সিদ্দিকসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1efb26f2, আমাদের সময়,৩০ নভেম্বর ২০২৩, সাকিবকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন," নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাকে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬(ঘ), ৮(ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।এতে আরও বলা হয়, আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা অনুসন্ধান কমিটির দপ্তরে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সময় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে সাকিবের। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরার পৌঁছান সাকিব। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীকে বরণ করতে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গড়াই সেতু এলাকায় ভিড় করেন হাজারো সমর্থক। সেখানে তিনি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। গত ১৮ নভেম্বর তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ক্রিকেটার সাকিব। মাগুরা-১, মাগুরা-২ এবং ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c1bc9623a, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, ‘অবৈধ নির্বাচনে সহযোগীদেরও জনগণ ক্ষমা করবে না’," ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তামাশার তফসিল বাতিল এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমস্যা ভারতে সমাধান করার জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করিনি। তলে তলে আপোষের বার্তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে অঙ্গরাজ্য বানানোর পায়তারা করছে আওয়ামী সরকার। এদেশের জনগণ হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারের পাতানো অবৈধ নির্বাচনে যারাই সহযোগী হবে দেশবাসী তাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনে দেশের মানুষকে এই আশা দিয়েছিলেন যে, “আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে আমার উপর আস্থা রাখুন”। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা এদেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। বাংলার মানুষ বারবার ফাঁদে পা দিবে না। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি স্বৈরাচারের টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। দেশের মানুষ উন্নয়নের ফাঁকা বুলি শুনতে চায়না তারা ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়।’রিয়াদ বলেন, ‘খেলোয়াড়, নায়ক, গায়কদের নমিনেশন দেওয়া প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ একটি জনবিচ্ছিন্ন সংগঠনের পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই পাতানো নির্বাচনে কোনো সচেতন নাগরিক ভোট কেন্দ্র যাবে না বরং ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাবে।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক হোসাইন আহমেদ, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির আহমাদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ পিয়াস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি এইচ এম কাওসার মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এম. মাইদুল হাসান সিয়াম প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c17f5bc728, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের কারণে পেছাতে পারে বই উৎসব : শিক্ষামন্ত্রী," সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসব পেছাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বছরের শুরুতে নির্বাচনী কারণে বই উৎসব হয়তো ১০-১১ জানুয়ারি হতে পারে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। নির্বাচন-পূর্ববর্তী সময়টা আসলে কেমন থাকবে, সেটা আমাদের একটু বিবেচনায় নিতে হবে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। সে কারণে এবার বই উৎসবটা ঠিক ১ তারিখে করব নাকি নির্বাচনের পরে ১০-১১ তারিখ করব, সেটা নিয়ে একটু সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c174aba288, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, নৌকা না পেলে নির্বাচনে যাবেন না সুলতান মনসুর," নৌকা প্রতীক ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সময়কে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এ সহসভাপতি (ভিপি)।আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, তিনি নির্বাচন করতে চান; তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে।স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি নির্বাচনে যাবেন না।সুলতান মনসুর বলেন, ‘আমি জিলাপির প্যাঁচে পড়ে যাওয়া লোক না। তার মানে নৌকা না হলে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চাই। এটিই প্রথম এবং শেষ কথা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমার জীবনের প্রথম ও শেষ ঠিকানা। আওয়ামী লীগ ছাড়া আমি সংসদে যেতে চাচ্ছি না।’জাতীয় সংসদে সুলতান মনসুরের অভিষেক হয়েছিল নৌকার মনোনয়নে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মনসুর বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।গত নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে সুলতান মনসুর জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির নানা সমীকরণে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটগত লড়াইয়ে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন তিনি। কিন্তু সংসদে তার ভূমিকাকে অনেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মতো বলে মনে করেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c17473b999, আমাদের সময়,২৯ নভেম্বর ২০২৩, অপরাজনীতি ছেড়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক : তথ্যমন্ত্রী," তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা চাই অপরাজনীতি ছেড়ে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকা- থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। গতকাল মন্ত্রণালয়ে পিআইবি প্রকাশিত ‘ফিচার সংকলন-এসডিজি ও উন্নয়নমূলক’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ কর্মকর্তারাও মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। সিইসির প্রত্যাশা- বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি যথার্থই বলেছেন। বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।এদিকে বাংলাদেশ বেতারের জ্যেষ্ঠ অনুষ্ঠান ঘোষক ও সাবেক মুখ্য নাট্য প্রযোজক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের (৭৮) মৃত্যুতে গভীরশোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c11ff6d414, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে," বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে মডেল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিদেশি শক্তিদের সঙ্গে মিলে আবারও দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে তারা। তবে ভোটের মাধ্যমে তাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ। অবরোধের নামে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বিএনপি। তবে যতই বাধা সৃষ্টি করুক নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না তারা। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল জলিল ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ষ কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c11f7db2c18, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে নৌকার প্রতিপক্ষ এবার আওয়ামী লীগ," বিএনপি মনে করে, এবারের ‘পাতানো’ নির্বাচনে নৌকার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি বলেছে, এবারের নির্বাচনে শেখ হাসিনার ফর্মুলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি এ মূল্যায়ন করে।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যেমন খুশি তেমন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর শেখ হাসিনা একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মনোয়নবঞ্চিতদের বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। তার মানে এবারের পাতানো নির্বাচন নৌকা ভার্সেস আওয়ামী লীগ! নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকমÑ আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে! পাতানো ম্যাচ খেলব দুজন- তুমি আর আমি। সাইড লাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা কুইন্স পার্টি ও ভুঁইফোড় পার্টির নেতারা। আমাদের পায় কে? শেখ হাসিনার প্রতিটি ভোট ডাকাতির অসাধারণ অভিনব মডেলগুলো দেখে অবাক তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার ফর্মুলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানাতে চান। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে নয়ছয় বোঝানো সম্ভব নয়।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে ভরে নির্বাচনী সার্কাস করে লাভ নেই। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান! এবার ঘুঘু বধ করতে ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব আছে। আদালত-নির্বাচন কমিশন-প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান সমস্ত সুতো শেখ হাসিনা রাখেন নিজের হাতের মুঠোয়। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন যে কতখানি চোখ ধাঁধানো জালিয়াতির নির্বাচন হবে, তা এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে প্রহসনের নির্বাচনের ইতিহাসে আর একটি অভিনব অধ্যায় হিসেবে যুক্ত হবে।’২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনী নাটকের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে শেখ হাসিনার তৈরি করা এমপি তালিকার বৈধতার সিলমোহর দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত বর্তমান নির্বাচন কমিশন বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সোমবার বলেছেন, বিদেশি শক্তির থাবা পড়েছে বাংলাদেশে। তাদের থাবা থেকে দেশের অর্থনীতি ও পোশাকশিল্পকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ভোট করতে না পারলে বিপদ।’ টর্নেডোর গতিতে ধেয়ে আসা এই মহাবিপদে সিংহাসন পতনের আতঙ্কে ভুয়া নির্বাচনের নতুন নাটক উদ্ভাবন করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতে সিল মারার উৎসবের পরিবর্তে দেশি-বিদেশিদের আইওয়াশ করতে নিজেরা নিজেরা লোকদেখানো প্রতিযোগিতা জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া।’সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার নির্যাতন ইস্যুতে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, জখমের সংবাদে আত্মশ্লাঘা বোধ করেন শেখ হাসিনা। অবিরাম চলছে গ্রেপ্তার অভিযানের লোমহর্ষক ঘটনা। একইভাবে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। নেতাকর্মীদের না পেলে পিতা, ভাই, আত্মীয়স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c11f7d6e011, আমাদের সময়,২৮ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচনে পড়েছে বাইরের থাবা, যা দুর্ভাগ্যজনক "," বিএনপি মনে করে, এবারের ‘পাতানো’ নির্বাচনে নৌকার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি বলেছে, এবারের নির্বাচনে শেখ হাসিনার ফর্মুলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি এ মূল্যায়ন করে।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যেমন খুশি তেমন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর শেখ হাসিনা একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মনোয়নবঞ্চিতদের বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। তার মানে এবারের পাতানো নির্বাচন নৌকা ভার্সেস আওয়ামী লীগ! নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকমÑ আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে! পাতানো ম্যাচ খেলব দুজন- তুমি আর আমি। সাইড লাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা কুইন্স পার্টি ও ভুঁইফোড় পার্টির নেতারা। আমাদের পায় কে? শেখ হাসিনার প্রতিটি ভোট ডাকাতির অসাধারণ অভিনব মডেলগুলো দেখে অবাক তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার ফর্মুলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানাতে চান। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে নয়ছয় বোঝানো সম্ভব নয়।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে ভরে নির্বাচনী সার্কাস করে লাভ নেই। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান! এবার ঘুঘু বধ করতে ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব আছে। আদালত-নির্বাচন কমিশন-প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান সমস্ত সুতো শেখ হাসিনা রাখেন নিজের হাতের মুঠোয়। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন যে কতখানি চোখ ধাঁধানো জালিয়াতির নির্বাচন হবে, তা এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে প্রহসনের নির্বাচনের ইতিহাসে আর একটি অভিনব অধ্যায় হিসেবে যুক্ত হবে।’২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনী নাটকের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে শেখ হাসিনার তৈরি করা এমপি তালিকার বৈধতার সিলমোহর দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত বর্তমান নির্বাচন কমিশন বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সোমবার বলেছেন, বিদেশি শক্তির থাবা পড়েছে বাংলাদেশে। তাদের থাবা থেকে দেশের অর্থনীতি ও পোশাকশিল্পকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ভোট করতে না পারলে বিপদ।’ টর্নেডোর গতিতে ধেয়ে আসা এই মহাবিপদে সিংহাসন পতনের আতঙ্কে ভুয়া নির্বাচনের নতুন নাটক উদ্ভাবন করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতে সিল মারার উৎসবের পরিবর্তে দেশি-বিদেশিদের আইওয়াশ করতে নিজেরা নিজেরা লোকদেখানো প্রতিযোগিতা জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া।’সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার নির্যাতন ইস্যুতে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, জখমের সংবাদে আত্মশ্লাঘা বোধ করেন শেখ হাসিনা। অবিরাম চলছে গ্রেপ্তার অভিযানের লোমহর্ষক ঘটনা। একইভাবে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। নেতাকর্মীদের না পেলে পিতা, ভাই, আত্মীয়স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c10b661b0, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩, এবারের ‘পাতানো’ নির্বাচন হবে নৌকা বনাম আওয়ামী লীগ: রিজভী," এবারের ‘পাতানো’ নির্বাচন হবে নৌকা বনাম আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন তিনি এ মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, ‘যেমন খুশি তেমন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর শেখ হাসিনা গণভবনে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমাবেশে দলীয় প্রার্থীদেরকে একজন করে ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। তার মানে এবারের পাতানো নির্বাচন নৌকা ভার্সেস আওয়ামী লীগ। নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেনো এ রকম: আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে। পাতানো ম্যাচ খেলব দুইজন। তুমি আর আমি। সাইড লাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা ‘কুইন্স পার্টি’, ভুঁইফোড় পার্টির নেতারা। আমাদের পায় কে? শেখ হাসিনার প্রতিটি ভোট ডাকাতির অসাধারণ অভিনব মডেলগুলো দেখে অবাক তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের শেখ হাসিনার ফর্মুলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানাতে চান। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে নয়ছয় বুঝানো সম্ভব নয়।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে ভরে নির্বাচনী সার্কাস করে লাভ নেই। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার ঘুঘু বধ করতে ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব আছেন। আদালত, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের সুতো শেখ হাসিনা নিজের হাতের মুঠোয় রাখেন। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন যে কতখানি চোখ ধাঁধানো জালিয়াতির নির্বাচন হবে তা এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে প্রহসনের নির্বাচনের ইতিহাসে আরও একটি অভিনব অধ্যায় যুক্ত হবে।’বর্তমান নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার তৈরি করা এমপি তালিকার বৈধতার সিলমোহর দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন,‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ বলেছেন, ‘‘বিদেশি শক্তির থাবা পড়েছে বাংলাদেশে। তাদের থাবা থেকে দেশের অর্থনীতি ও পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ভোট করতে না পারলে বিপদ।” টর্নেডোর গতিতে ধেয়ে আসা এই মহাবিপদে সিংহাসন পতনের আতঙ্কে ভুয়া নির্বাচনের নতুন নাটক উদ্ভাবন করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতে সিল মারার উৎসবের পরিবর্তে দেশি-বিদেশিদের আইওয়াস করতে নিজেরা নিজেরা লোক দেখানো প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া।’সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার নির্যাতন ইস্যুতে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, জখমের সংবাদে আত্মশ্লাঘা বোধ করেন শেখ হাসিনা। অবিরাম চলছে গ্রেপ্তার অভিযানের লোমহর্ষক ঘটনা। একইভাবে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। নেতাকর্মীদের না পেলে বাবা, ভাই, আত্মীয়স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশে আওয়ামী নাৎসিবাদ এখন জার্মানির মতো হুবহু পৈশাচিকতায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। হিটলার যেমন ইহুদিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বক্তব্য দিতেন, তেমনিভাবে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল বা নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পীচ’ দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c0f95b5be, আমাদের সময়,২৭ নভেম্বর ২০২৩," প্রকাশ্যে সিল মারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারিনি, এটা লজ্জার: সিইসি"," সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর দুটি আসনের উপনির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর এ দুটি আসনের উপনির্বাচনে দেখা গেছে যে, প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে। আমরা সেটা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের প্রশাসন পারেনি, আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাসকর। আমরা এরকম নির্বাচন আর চাই না।’তিনি বলেন, ‘এই সিলমারাটা কিন্তু আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির একটা অংশ। এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশী শক্তি ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং সিলমেরে কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে আমাদেরকে ওর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ জনগণ যদি বলে এবারের নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তবেই এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’তিনি বলেন, ‘আমি আগে বিচার বিভাগে কাজ করেছি। বিচার বিভাগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো স্বাধীনতা। দেশের মানুষ বিচার বিভাগকেই স্বাধীন বলে বিবেচনা করে। দেশের মানুষের আস্থাটা বিচার বিভাগের ওপর সবচেয়ে বেশি। তাই আপনারা যেখানে কাজ করবেন সেখানে স্বাধীন ও স্বচ্ছতার ভেতরে কাজ করবেন।’তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্রি-ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন চাচ্ছি। বিদেশিরাও চাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন ফ্রি-ফেয়ার ও ক্রেডিবল হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনোই নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রশাসন এবং আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’অনুষ্ঠানে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d32fc699e1, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না আ.লীগ," উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি। গতকাল সোমবার রাতে গণভবনে কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলের প্রতীকের প্রার্থিতা দেব কিনা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির প্রায় সর্বসম্মত অভিমত হলো, উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার না করা। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সঙ্গে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করি না। যেহেতু সবাই এখানে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আগামীর স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত এটা কার্যনির্বাহী কমিটির কমিটির সিদ্ধান্ত। কার্যনির্বাহী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেয়, মনোনয়ন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। মনোনয়ন বোর্ড আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার আগে বিষয়টা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থীÑ সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য, তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি, তাদের বলা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকায় ডেকে এনে সমাধান করবেন।সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিডিউল ঘোষণার পর দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। সভায় বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d37a5f6508, আমাদের সময়,২৪ জানুয়ারি ২০২৪, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনেও যাবে না - রিজভী," আসন্ন উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হলো- শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না।নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। সুতরাংতার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, সেই সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই নেওয়া আছে। বিএনপি এখনো সেই সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে।’এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে যাবে কিনা, জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে আপনারা নির্বাচন দেখেছেন এবং সেই নির্বাচনের ফল, প্রকৃতি, নানা ধরন-আঙ্গিক নিশ্চয়ই ধারণা করা আছে আপনাদের নিজস্ব মোবাইল ফোনে বা আপনাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার প্রমাণ আছে। শেখ হাসিনা যতই কথা বলুক, তিনি কোনোক্রমে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। জনগণের যে শক্তি, জনগণের ইচ্ছাতে তিনি বিশ্বাস করেন না। করেন না বলেই আজ দেশ-বিদেশ থেকে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে দাবি জানানো হয়েছে, এটাতে তিনি কর্ণপাত না করে নিজের মাস্টার প্লান অনুযায়ী এবং প্রভুদের সমর্থন নিয়ে একটি অদ্ভুত তামাশার নির্বাচন করেছেন।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d3290e8157, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাকে নির্বাচনে হারানো হয়েছে," পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রুস্তম আলী ফরাজী অভিযোগ করেছেন, সদ্যসমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে হারানো হয়েছে। মঠবাড়িয়ার ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে অধিকাংশ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ব্যালটে প্রকাশ্যে সিল মেরে এই কারচুপিসহ বিভিন্ন অপকাণ্ড করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ তথা অংশগ্রহণমূলক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন জোরালোভাবে যে ঘোষণা দিয়েছিল, প্রশাসনের একাংশের হস্তক্ষেপে তার প্রতিফলন মঠবাড়িয়ায় ঘটেনি। গত রবিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।রুস্তম আলী আরও অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়া আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজকে বিজয়ী করতে কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে সিল মারা, জাল ভোটদান, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধাদান, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবাধ তৎপরতা, অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ইত্যাদি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কারচুপি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয় ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং মঠবাড়িয়া থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018d32550dec, আমাদের সময়,২৩ জানুয়ারি ২০২৪, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না: কাদের," উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি। আজ সোমবার রাতে গণভবনে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি জানান, ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় চূড়ান্ত করা হবে। তবে ওয়ার্কিং কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী, সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য তার রেশ এখনো রয়ে গেছে কিছু কিছু জায়গায়; তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি সংশ্লিষ্ট সকলকে ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিডিউল ঘোষণার পর দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, সভায় বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলের প্রতীকের প্রার্থিতা দেব কিনা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটি প্রায় সর্বসম্মত অভিমত যে, আবার কার উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার না করা। নৌকা না দেওয়ার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করছেন। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সাথে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করি না। যেহেতু সবাই এখানে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আগামীর স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত এটা ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত। ওয়ার্কিন কমিটি যেটা সিদ্ধান্ত নেয় মনোনয়ন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বহাল করে। মনোনয়ন বোর্ডের আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার আগে বিষয়টা নিয়ে আর কিছু বলতে চায় না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c0d8d8dd27, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনকে সামনে রেখে বাড়ছে জঙ্গি তৎপরতা," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বেড়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ছদ্মনামে বাসা ভাড়া নিয়ে চলছে সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম। এমনই একটি জঙ্গি সংগঠন হলো ‘আল্লাহর দল’। সংগঠনটি শিক্ষিতদের টার্গেট করে কাজ করছে বলে জানিয়েছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় এটিইউর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গত শনিবার কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ ঠাকুরপাড়ার সাকিনা রামপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ‘আল্লাহর দল’-এর পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ‘আল্লাহর দল’-এর কুমিল্লা জেলার আমির মশিউর রহমান রাসেল, তার সহযোগী আবু সুফিয়ান, সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন ও জুলহাস হোসেন। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও সংগঠনের কার্যক্রমের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেখান থেকে কয়েকজন পালিয়ে যান। পুলিশ সুপার ছানোয়ার আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ব্যস্ত থাকায় তারা তৎপর হয়েছে। সম্প্রতি তারা দাওয়াতি কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে তাদের সহিংস কোনো কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা জানা যায়নি?। এ ছাড়া, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এখনো তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’-এর সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতার উদ্দেশে গোপন বৈঠকে করে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিকল্পনা, দাওয়াতি কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে একত্রিত হয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মশিউর রহমান, আবু সুফিয়ান ও আলাউদ্দিন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহ দল’-এর জেলা নায়ক। সালাউদ্দিন জেলা প্রতিনিধি এবং মো. জুলহাস সদস্য হিসেবে সংগঠনকে সমর্থন, সংগঠনের জন্য চাঁদার হার নির্ধারণ ও উত্তোলন, পরিকল্পনা ও প্ররোচনার দায়িত্ব পালন করে আসছিল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c08109deb2, আমাদের সময়,২৬ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে যাবে না স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ," সরকার গত দুবারের মতো এবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে জানিয়ে এতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে তফসিল বাতিল করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পরিষদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম। লিখিত বক্তব্যে রহিম বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ দুটি নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। সরকার এবারও পূর্বের ন্যায় একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। এ জন্য আমরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দেশ অচল হয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। বিরোধী দলগুলোর দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন করলে দেশ আরও মহাসংকটে পড়বে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। অনেকেই জেলে বন্দি। সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c05a34575, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া ভোটার পাওয়া যাবে না: মিনু," বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, এবার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া ভোটার পাওয়া যাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হবে। পেটো বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। যে নির্বাচনে ভোটার থাকে না, সেটি নির্বাচন নয়।আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের মিথ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের লোকজনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলাও গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য তুলে ধরে মিনু জানান, সম্প্রতি ৪৬টি মামলায় এক হাজার ২৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৩৫টি এবং জেলায় ১১টি মামলা হয়েছে। গত ২/৩দিনে আরও মামলা এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দেড় হাজার।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে রাজশাহী জেলা, মহানগর ও সারাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরসহ ত্রাণ ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জননেতা আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির অন্যতম সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমুখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবি এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ড এবং রাজশাহী জেলার সকল উপজেলা, পৌর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। ’পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহী জেলা পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা রহস্যজনক মনে হচ্ছে ও বিচিত্রময় মনে হচ্ছে। তারা জনগণের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকারকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে গ্রেপ্তার মামলা এবং জেল দিয়ে ঠেকাতে চাচ্ছেন তারা মনে হচ্ছে, দেশের জনগণ তাদের কাছে শত্রু। তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের বাহিনী। তারা কোনো দলের বাহিনী নয়। তিনি অবিলম্বে পুলিশি হয়রানির বন্ধের দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c05ed92e3, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জেএসডি: আ স ম রব," জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘বল প্রয়োগ করে গণতন্ত্রের সব পথ রুদ্ধ করে কেবল ইচ্ছাপূরণের নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত ফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। রাষ্ট্রকে জিম্মি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার সরকারের আত্মঘাতী অপকৌশলের বিপজ্জনক ফাঁদে যারা জড়িত হবেন, ভবিষ্যতে তাদেরও দায়দায়িত্ব নিতে হবে।’রাষ্ট্রকে জিম্মি করে সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার চক্রান্তের অংশ দ্বাদশ সংসদের পাতানো নির্বাচন থেকে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি জানান, কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তার দল।বিবৃতিতে বলা হয়, আবারও ভোটাধিকার হরণ করে পাতানো নির্বাচন রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সমীকরণে চরম বিপর্যয়ে ফেলবে। অভ্যন্তরীণ অস্থির রাজনীতিকে অধিকতর অস্থির ও সংঘাতমুখী করে ফেলবে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র ও জনগণকে বলি দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার অপকৌশল কোনোক্রমেই গ্রহণীয় হতে পারে না। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, কারাগারে পাঠানো এবং কারাদণ্ড প্রদান আজকের বিশ্বে বিরল ঘটনা। এই নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং ঘোষিত ৩১ দফার ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনই হবে এই মুহূর্তের রাজনৈতিক করণীয় ও কর্তব্য। চলমান গণ-আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জন ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c06c8b2fb, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে যাবে না গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি," বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না মোস্তফা মোহসীনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। আজ শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু’র নিজ কার্যালয়ে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল দুটি।সভার বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই দুই দলের নেতারা বলেন, জনআকাঙ্ক্ষা ও গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র মোতাবেক পুতুল নির্বাচন কমিশন তথাকথিত তফসিল ঘোষণা করে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন ও ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের যেভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে পুনরায় জনগণের অধিকার ছিনতাইয়ের নীল নকশা তৈরি করেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার।এতে আরও বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর গায়েবি মামলা, হামলা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো এবং দ্রুত রায়ে সাজা প্রদান করছে যে নিপীড়ক সরকার, সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রশ্নই আসেনা। জোর জবরদস্তির কোন নির্বাচনে এদেশের জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। যে সকল দল বা জোট জনবিরোধী এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করবে তারাও দেশের জনগণের নিকট বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।সভায় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী ও মহাসচিব মো. আবদুল কাদের।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c035530445, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না : চরমোনাই পীর," অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ কথা বলেছেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। চরমোনাই দরবার শরিফের বার্ষিক মাহফিলের তৃতীয় দিন গতকাল ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে গণজমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।উল্লেখ্য, আজ শনিবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে চরমোনাই দরবারের শততম মাহফিল শেষ হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c03552ffe2, আমাদের সময়,২৫ নভেম্বর ২০২৩, সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নেই : খেলাফত মজলিস," বর্তমানে দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই বলে মনে করে খেলাফত মজলিস। দলটির নেতারা বলছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ অর্থহীন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি রেস্তোরাঁয় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অধিবেশনে এমন অভিমত আসে বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে।খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির স্বার্থে ঘোষিত তফসিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়।পাশাপাশি বলা হয়, দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা মনে করে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার বিশেষ অধিবেশনে আরও বলা হয়, খেলাফত মজলিস দীর্ঘদিন ধরে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ৮ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ দাবি ইতিমধ্যে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সরকারের ইশারায় নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত করবে।খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিতের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c0122dfa8, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আনাই মূল চ্যালেঞ্জ: চুন্নু," জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমরা চেয়েছি, ভোটাররা যেনে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমাদের আশস্ত করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাঝে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোন পন্থী নেই। জাতীয় পার্টিতে পন্থী একটাই, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আমরা সবাই এরশাদপন্থী।’দলটির মহাসচিব আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় বেগম রওশন এরশাদের অনেক অবদান ও ত্যাগ আছে। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করব। বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি। বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ফোন করেছিলেন, আজ হয়তো তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন।’চুন্নু আরও বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেনি, তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় একদিন (আজ) বাড়ানো হয়েছে। বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোন সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন তখনই মনোনয়ন ফরম দেয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে, মনোনয়ন ফরম তাঁর বাসায় পৌঁছে দেবো। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।’জাতীয় পার্টি মহাসচিব আরও বলেন, ‘প্রায় সকল আসনেই আমাদের একাধিক মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে। প্রত্যাশিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলছে। আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। কতদিন ধরে পার্টি করছেন এবং এলাকায় কতটা জনপ্রিয়তা আছে তা বিবেচনা করেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন বোর্ডের মতামত বোর্ড সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জানানো হবে। তিনি মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। পার্টি চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে মনোনয়ন পরিবর্তন করতেও পারবেন। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ যদি কাজ করে অথবা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি প্রার্থী হয় তাকে আর পার্টিতে রাখা হবে না।’আজ বেলা ১১টা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c00f05a2e, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, ‘নির্বাচন বানচাল করে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়’," নির্বাচন বানচাল করে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে বিপন্ন করতে চায়। এরা দেশের কল্যাণের পথে হাঁটে না, দেশের কথাও চিন্তা করে না।’তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চায় আওয়ামী লীগ। তার বিকল্প বাংলাদেশ এখনো তৈরি হয়নি। সব ষড়যন্ত্র ছাপিয়ে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’এ সময় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c016444d7, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?," লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করবে না এলডিপি। ভাগাভাগির কোনো নির্বাচনে এলডিপি যাবে না। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হলে সে নিবাচনে যাবে এলডিপি।’আজ শুক্রবার বিকালে মগবাজার গুলফেশা টাওয়ারে দলের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।কর্নেল অলি আরও বলেন, ‘তিনবার মন্ত্রী ছিলাম, ছয়বার এমপি ছিলাম, এখন লোভ করাটা হবে পাপ। এখন যদি জনগণের জন্য কিছু কাজ করে যেতে পারি সেটাই হবে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য।’তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার ফিরে আসলে, ন্যায় বিচার ফিরে আসলে, নির্যাতন-নিপিড়ন থেকে ফিরে আসলে, আমাদের যেসকল সহকর্মী জেলে আছে, আমাদের বন্ধুবান্ধব যারা জেলে আছে তাদের মুক্তির পরেই আমরা নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করব।’তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। একটাই দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এলডিপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018c016444d7, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না ইসলামী আন্দোলন," অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।চরমোনাই দরবার শরীফের বাৎসরিক মাহফিলের তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার প্রথম অধিবেশনে অনুষ্ঠিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।’গণজমায়েতের বক্তারা বলেন, অন্যান্য ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের আগে যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় কে কত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত। কে কেন্দ্র দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাম্রাজ্য গঠন করতে পারবে। কিন্তু ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্ব প্রদানের আগে যাচাই করা হয় জ্ঞান ও সৎকর্ম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময় আদর্শিক নৈতিক শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে সচেতন ভূমিকা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সমাজসেবা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে তারা।ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমসহ আরও অনেকে।আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মাহফিল মিডিয়া কমিটির সদস্য এইচ এম সানাউল্লাহ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bfd8c9f1e3, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচনের খেলা রুখে দেওয়া হবে," সরকারের ‘একতরফা’ নির্বাচনের খেলা রুখে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ষষ্ঠ দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এই হুশিয়ারি দেন। এর আগে বেলা ১১টায় তোপখানা রোড থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল শুরু হয়ে বিজয়নগর, শিল্পকলা একাডেমি সড়ক হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ফুল নাকি ফুটতে শুরু করেছে।এই ফুল বাগানের ফুল নয়, এই ফুল প্লাস্টিকের ফুল। যার কোনো গন্ধ নেই, দুর্গন্ধ নেই- সেই ফুল দিয়ে তিনি বাগান সাজানোর চেষ্টা করছেন।’গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, ‘এবার জনগণ রাজপথে নেমেছে কেবলমাত্র বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নয়, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এই লড়াইয়ে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে থাকবে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাকে কেনাবেচার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে তিনি নানারকমের নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভাবছেন এভাবে কেনাবেচা করে তারা একটা একতরফা নির্বাচন করবেন, সেটা নাকি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের মানুষ বোকা না।’গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রীতম দাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bfd5409249, আমাদের সময়,২৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালের বিরুদ্ধে ৩৫০ বিশিষ্টজনের বিবৃতি," দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষক, পেশাজীবীসহ ৩৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতি দিয়েছেন।বিবৃতি প্রদানকারীদের পক্ষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্ আল্ভী স্বাক্ষরিত পত্রটিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর দেশ যখন নির্বাচনমুখী অবস্থায় তখন অগণতান্ত্রিক শক্তি নির্বাচন বানচালের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিভিন্ন অপকৌশল এবং একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলনে সাফল্য না পেয়ে এবার তারা সাবেক আমলাসহ একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে। তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে ‘সংকট’ সমাধানের যে কথা বলছেন, যা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি।তারা সংবিধানকে পদদলিত করে গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে আবারও ওয়ান-ইলেভেনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। কার্যত তাদের বিবৃতিতে সংবিধান লঙ্ঘন করে যে ‘মার্জনা’ দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তা শুধু অগণতান্ত্রিকই নয়Ñ রাষ্ট্রদ্রোহিতারও শামিল। এ ধরনের অপচেষ্টা তারা অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালেও করেছিল। আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বিবৃতি প্রদানকারী ৩৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক ও পেশাজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক মো. রফিকুন নবী, ইমেরিটাস অধ্যাপক মু আবুল হাশেম খান, নাট্যজন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ আলী, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bfc4fc1ca, আমাদের সময়,২৩ নভেম্বর ২০২৩, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা," নতুন জোট তৈরি করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।গতকাল বুধবার বিকেলে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।এর আগে গতকাল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ‘মীরজাফর’ ‍ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দেন ১২ দলীয় জোট নেতারা।স্থানীয় নেতারা বলছেন, এই দুঃসময়ে দেশ ও হাটহাজারী গণমানুষের সঙ্গে বেইমানি করায় নব মীরজাফর হিসেবে হাটহাজারীর মানুষ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে স্মরণে রাখবে।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্যসচিব গিয়াসউদ্দিন বলনে, বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা হাটহাজারী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়ছে। শেষ বয়সে এসে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম লোভে পড়ে অনৈতিক সুযোগ নিয়ে এমন ঘৃণিত কাজ করলেন।প্রসঙ্গত, ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় গতকাল। যুক্তফ্রন্ট নামের নতুন একটি রাজনৈতিক জোটে দল দুটি যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে তারা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bfb7fcb3b , আমাদের সময়,২৩ নভেম্বর ২০২৩,নেদারল্যান্ডসের নির্বাচনে ইসলামবিরোধী নেতার জয় ," নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে দেশটিতে ইসলামবিরোধী হিসেবে সুপরিচিত নেতা গ্রিট ওয়াইল্ডার জয় পেয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় সকল ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এরপরেই গ্রিট ওয়াইল্ডার জয়ের আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। খবর বিবিসির।দেশটির নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়েছে, ২৫ বছর যাবত সংসদে থাকা ফ্রিডম পার্টি ৩৭টি আসনে জয়ের পথে আছে। অন্যদিকে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী জোটের চেয়ে ফ্রিডম পার্টি অনেক এগিয়ে আছে। গ্রিট ওয়াইল্ডার বলেছেন, ‘ফ্রিডম পার্টিকে এখন আর অবহেলা করা যাবেনা। এখন আমরা দেশ চালাবো।’ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ফলাফল যদি শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয় তাহলে সেটি হবে ডাচ রাজনীতির জন্য বড় এক ঝাঁকুনি। কিন্তু ফ্রিডম পার্টিকে তাদের সঙ্গে সরকারে জোট সঙ্গী খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে হবে। এবারের পার্লামেন্টে ৩০০টি আসনের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দল পায়নি। সরকার গঠন করতে হলে ৭৬টি আসনের প্রয়োজন। সেইজন্য ফ্রিডম পার্টিকে অবশ্যই জোট সরকার গঠন করতে হবে।ফ্রিডম পার্টির পরে যে তিনটি বড় দলের অবস্থান রয়েছে তারা এরই মধ্যে ওয়াইল্ডারের নেতৃত্বে সরকারে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। বিজয়ী ভাষণে ৬০ বছর বয়সী ওয়াইল্ডার বলেন, ‘আমরা দেশ শাসন করতে চাই এবং ৩৫টি আসন দিয়ে আমরা দেশ শাসন করবো। ৩৫টি আসন অনেক বড় বিষয় এবং অনেক বড় দায়িত্বও বটে।’ বামপন্থী জোট নির্বাচনে ২৫টি আসনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জোটের নেতা ফ্রাঁ টিমারম্যানস বলেছেন, ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে কোনো সমঝোতায় তিনি যাবেন না।তিনি সমর্থকদের বলেন, ‘এখন ডাচ গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে রক্ষা করার সময়। আমরা কাউকে এখানে থেকে যেতে দেব না। নেদারল্যান্ডস-এ সবাই সমান।’ নির্বাচনে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে থাকা বড় দুটি দলের সমর্থনে চেষ্টা করবে ফ্রিডম পার্টি। নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দিলান ইয়েসিলগোজ-এর নেতৃত্বে মধ্য-ডানপন্থী দল এবং চতুর্থ স্থানে থাকেবে পিটার ওমটজিগট-এর নতুন রাজনৈতিক দল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bde4bc1f19, আমাদের সময়,"১৮ নভেম্বর ২০২৩,",সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুললেই রক্ত ঝরানো হচ্ছে ," সরকার ‘আওয়ামী ফ্যাসিজম’ প্রতিষ্ঠার ছক ধরেই এগোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীর ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।রিজভী বলেন, ‘জড়িমাগ্রস্ত সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টায় শেখ হাসিনা আওয়ামী ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার একটি ছক ও বিন্যাস ধরেই এগোচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলা মাত্রই রক্ত ঝরানো হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষদের। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠী এখন শেখ হাসিনার বুলেটের টার্গেট। মূলত, দেশে গণতন্ত্র এখন মৃত। বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা আওয়ামী লীগের নিজস্ব শৈলী।’রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণকে দমন করতে বেগম খালেদা জিয়াসহ হাজারও নেতাকর্মীকে বন্দি করেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, মোহাম্মদ শাহজাহানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) যে ফেরাউনের রাজত্ব কায়েম করেছেনÑ এটাই তার প্রমাণ, তার (সরকার) পতন হবেই।’প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থরক্ষা না করে শেখ হাসিনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আজকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন এবং এই আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীর যে আত্মদান, যে রক্তদান তা উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশের সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিদেশি কূটনীতিকদের আবেদন অগ্রাহ্য করে সিইসি শুধু একনায়ক, গণতন্ত্রবিরোধী ও ভোটারবিহীন সরকারপ্রধানের কথা শুনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে জনগণ প্রাণ হাতে নিয়ে সংগ্রাম করছে। দেড় দশক ধরে রাজনৈতিক সংকট এখন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।রিজভী আরও বলেন, ‘সশস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ বিরোধীদের বাসার গেট ভেঙে, তালা ভেঙে ও জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকছে। তল্লাশির নামে পুলিশ গ্রামের পর গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়ির সব ঘর তছনছ করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৯৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৬৫ জনের অধিক ব্যক্তিকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be0daa50a , আমাদের সময়,"১৮ নভেম্বর ২০২৩, ","‘জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই, তারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে’ "," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্য দলগুলোও নির্বাচনে আসবে। তবে যেসব দল নির্বাচনে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর, জনগণের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই বা দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।’আজ শনিবার সকাল ১০টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে। ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করলে যে একটা দেশের ক্ষতি হয় সেটা হচ্ছে দুঃখজনক। নির্বাচন ঠেকানোর নামে এর আগে ২০১৩, ১৪ সালে আমরা দেখেছি অগ্নিসন্ত্রাসের কর্মকাণ্ড। বহু মানুষ আগুনে পুড়েছে, তাদের জীবন কষ্টের মধ্যে চলতে হচ্ছে।’এর আগে সকাল ১০টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিজের ফরম সংগ্রহ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নিজের এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য একটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এরপর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bde4fa2a67 , আমাদের সময়,১৮ নভেম্বর ২০২৩ ,কারও সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুক ," বিএনপি-জামায়াত ভোট বানচাল করতে পারবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সময় এসেছে; নির্বাচন হবে; জনগণ ভোট দেবে। কারও যদি সাহস থাকে, এসে নির্বাচন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা যদি থাকে, তা হলে ভোট পাবে। জনগণ যাকে ভোটে নির্বাচিত করবে, সেই সরকার গঠন করবে।’গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সভা হয়। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা আগুন নিয়ে খেলছে। বিএনপি এবং তাদের যে জোট আছে, তাদের শুধু একটা কথা বলব- আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের বিভিন্ন সংস্কারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্যছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে, অস্ত্র হাতে না, রাতের অন্ধকারে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এ সেøাগান দিয়ে মানুষকে আমরা ভোট নিয়ে সচেতন করি। ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করি। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দি ছিল, সেটা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিই।’সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের। এ সময় সভাপতির পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও দলের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভায়আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ জ্বালাওপোড়াওয়ে ভীত না হয়ে, সংবিধান মেনে সময়মতো নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন।’ দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে হয়, সে জন্য জনগণ ও দেশবাসীর সহযোগিতা আমি চাই।’সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, ইলেকশনে অংশগ্রহণ করেন, ইলেকশনে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান।’ তিনি বলেন, ‘এই যে অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা ও জানমালের ক্ষতি করেছে, সে জন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।’বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে হামলা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারা সাধারণ মানুষ হত্যা করার পরিকল্পনা করে, তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে? তাদের ওপর মানুষ কেন আস্থা রাখবে? আস্থা রাখে না। মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না, তারা ঘাতক বলে চিহ্নিত।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের সেবা করেছি বলেই আমাদের ওপর মানুষের সমর্থন-আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে। আজ যদি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন দলের ওপর তাদের আস্থা আছে, সেটা আওয়ামী লীগের ওপরেই আছে, আমাদের ওপরই আছে। সে আস্থা-বিশ্বাস ধরে রেখে আমাদের এগোতে হবে।’বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন অতিবামপন্থি ও অতিডানপন্থিরা একাকার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখন কার যে কী আদর্শ, কে যে কতটুকু বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতিবামদের আদর্শ নেই, তারা বলে, সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? আর বলে, নির্বাচন বানচাল করতে হবে। তার মানে হলো, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে তারপর নিজেদের রাজনৈতিক নেতা বানানো; নির্বাচনের নামে প্রহসন- এই সব।’টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ ১৪ বছরে বাংলাদেশে বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি। আজ মানুষকে বিদেশি পুরনো কাপড় এনে পরাতে হয় না। দেশের মানুষকে খাদ্যের জন্য হাহাকার করতে হয় না।’পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে পোশাকশ্রমিকদের জন্য ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও দেখলাম ১৮ থেকে ১৯টা কারখানা ভাঙচুর, আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কত শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে শ্রমিকদের? বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে কিছুই বাড়ায়নি। যেটুকু করার, আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।’গতকাল প্রথমবারের মতো ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নতুন কার্যালয়ে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পরিরুজ্জামার তরুণ।দলের কেউ যেন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না করে : নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় শেখ হাসিনা উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যদি নাও আসে তারপরও নির্বাচন করার মতো লোকের অভাব হবে না। তিনি বলেন, সবার মনে রাখতে হবে, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দলের প্রার্থীকে অবশ্যই ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনের প্রতি তীক্ষœ নজর রাখা হচ্ছে। অনেকে সার্চলাইট বসিয়ে রেখেছে। সুতরাং কারোর জন্য যেন কোনো রকম বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হতে চাই।এ সময় দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ, সভাপতিম-লীর সদস্য শাজাহান খান, আবদুর রাজ্জাকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। সবার বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পরিরুজ্জামার তরুণ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be43e7d683, আমাদের সময়,"১৯ নভেম্বর ২০২৩,", নির্বাচনে যারা অংশ নেবে তারা জাতীয় বেইমান," ‘প্রহসনের’ নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল শনিবার মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতাল সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রহসনের তফসিল ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেÑ ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে সেই দায় তাদের ওপরই চাপিয়ে নেতাকর্মীর নামে মামলা এবং গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমনের ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করেছে সরকার। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের সেই অন্যায়কে বৈধতাই দিল শুধু।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হাজারও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী যখন জেলে এবং লাখ লাখ নেতাকর্মী পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে বাড়িছাড়া, তখন এ রকম অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার করেছে। এগুলো পরিষ্কার করে যে, এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়!তাই বাংলাদেশের জনগণ যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দলও অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।’অনতিবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আজ রবিবার থেকে শুরু হওয়া সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানায় গণতন্ত্র মঞ্চ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be3e67ed310, আমাদের সময়," ১৯ নভেম্বর ২০২৩,", দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে এর কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন আগড্যাব (ইউনানী আয়ুর্বেদিক গ্র্যাজুয়েট ডক্টটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)। সংগঠনের সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন ও মহাসচিব ডা. আমিনুল বারি কানন গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তারা বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল জনমনে অসন্তোষ সংঘাত, সহিংসতা ও অস্থিরতা বাড়াবে। যা দেশের গণতন্ত্রকামী ও শান্তিপ্রিয় জনগণের কাম্য নয়। আমরা এই তফসিল ও কমিশনের কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। অনতিবিলম্বে এই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be436db2c1, আমাদের সময়," ১৯ নভেম্বর ২০২৩,",নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ," প্রার্থী সম্পর্কে ভোটারদের সঠিক ধারণা দেওয়া এবং রাজনীতিকে কলুষতামুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা জমা দেওয়ার বিধান চালু হলেও শেষ পর্যন্ত এটি জমা দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপালন হয় না আইনি নির্দেশনা। তথ্য গোপন করলে সেগুলো অনুসন্ধান করে ব্যবস্থাগ্রহণের নজির নেই। ফলে ‘সত্য ঘোষণা’র আড়ালে দাখিল হচ্ছে গা বাঁচানো তথ্য। ভোটাররাও প্রার্থী সম্পর্কে হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো জানার সুযোগ পান না। তাই একটি অকার্যকর বিধিবিধানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেনÑ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এ বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইসি তা যথাযথ প্রয়োগ করছে না। নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাদের প্রশ্নÑ সম্পদ ও মামলার তথ্য গোপনের বিষয়গুলোও যাচাই না হলে এগুলো নেওয়ার যৌক্তিকতা কী?ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার উদ্যোগটা ইতিবাচক ছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এখন তা হয়ে গেছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা। হলফনামায় প্রার্থীদের দেওয়া তথ্যের সত্যতা ও পর্যাপ্ততা নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই যাচাই করা উচিত। কিন্তু সে উদ্যোগ নেওয়ার মতো সক্ষমতা ও সৎসাহস কমিশন কখনো দেখাতে পারেনি। বরং হলফনামার বিধানের অপব্যবহার হচ্ছে। কোনোকোনো ক্ষেত্রে চলছে প্রতারণা, আবার অন্যদিকে যেসব প্রার্থী যথাযথভাবে হলফনামায় তথ্য প্রদান করেন, তারা হচ্ছেন বৈষম্যের শিকার। সর্বোপরি হলফনামা মূলত যাদের সুবিধার্থে, সেই ভোটারদের কাছে হলফনামা একটি অর্থহীন বিষয়ে রূপান্তরিত হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক চর্চার সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ একটি উদ্যোগ পদদলিত হচ্ছে। এর মূল দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, হলফনামার মাধ্যমে প্রার্থীরা জাতিকে নিজেদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়ে থাকেন। ‘ভুল তথ্য’ দিলে নির্বাচন কমিশনের যেমন কিছু করণীয় নেই, তেমনি আইনগত ভিত্তিও নেই। তিনি বলেন, দুর্নীতিমূলক কিছু যদি থাকে, দুদক দেখবে। তারা মামলা করবে। এনবিআর মামলা করতে পারবে। পরে আইনে যেটা আছে, সেই অনুযায়ী যা হওয়ার হবে।তবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পেলে তা যাচাই-বাছাই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইসি মো. আলমগীর বলেন, মিথ্যা তথ্য মানেই প্রতারণা। প্রতারণার জন্য পৃথক আইন আছে, সে আইনে মামলায় শাস্তি দিয়ে আদালত ইসিকে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ (৩খ) উপদফা (২)-এ বলা আছেÑ প্রত্যেক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি হলফনামা দাখিল করতে হবে। এতে প্রার্থীকে আটটি তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলোÑ ১. সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি, ২. বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত কিনা, ৩. অতীতে তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কিনা, থাকলে এর রায়, ৪. ব্যবসা বা পেশার বিবরণী, ৫. প্রার্থীর সম্ভাব্য আয়ের উৎসসমূহ, ৬. প্রার্থীর ও তার ওপর নির্ভরশীলদের এবং তার স্ত্রী বা স্বামীর সম্পদ ও দায়ের বিবরণী, ৭. এর আগে সংসদ সদস্য ছিলেন কিনা (হয়ে থাকলে ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও এর কী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হয়েছিল তার বিবরণ) এবং ৮. ঋণসংক্রান্ত তথ্যাবলি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১৪ অনুচ্ছেদ (৩) গ-তে বলা আছেÑ যদি এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে ১২ ও ১৩-এর কোনো বিধান প্রতিপালন করা হয়নি, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে বা আপত্তির কারণে এ বিষয়ে যথাযথ সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধান পরিচালনা করতে পারবেন।বিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্য প্রার্থীরা হলফনামা জমা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে। এর কোনো তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে বা কারও অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন। অবশ্য স্বপ্রণোদিত হয়ে তারা কখনো কোনো প্রার্থীর হলফনামার তথ্য যাচাই করেন না। এমন নজিরও কম।জানা গেছে, দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি রিট করলে তা খারিজ হয়ে যায়। পরে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার বিচারপতি এই আদেশ স্থগিত করে ইসিকে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।এর মধ্যে নির্বাচনে মহীউদ্দীন খান আলমগীর নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট তার মনোনয়নপত্র এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াকে বাতিল ঘোষণা করেন। এর ভিত্তিতে প্রকাশিত গেজেটে মহীউদ্দীনের সদস্যপদ খালি ঘোষণা করা হয়। হাইকোর্ট ওই গেজেট অবৈধ ঘোষণা করলে মহীউদ্দীন একটি রিভিউ আবেদন করেন। পরে উচ্চ আদালত ওই দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংসদ সদস্যপদ বহাল থাকে।একাদশ জাতীয় সংসদের মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবাহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। গত ১৩ জানুয়ারি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব এবং নিউইয়র্ক সিটিতে ৯টি স্থাপনার মালিক হওয়ার তথ্য গোপন করেছিলেন বলে একটি বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে।এমন তথ্য প্রকাশের বিষয়টি ইসির নজরে আনা হলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, উনি হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নমিনেশন সাবমিটের আগে জানালে ব্যবস্থা নেব। হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের আগে দিলে আমরা দেখব। মিথ্যা তথ্য মানেই প্রতারণা। প্রতারণার মামলা আছে আলাদা। আদালত শাস্তি দিয়ে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।এদিকে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করায় জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে দশম সংসদে নির্বাচিত ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের (মুক্তি) বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নিতে ইসিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর পাঠানো ওই চিঠির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইসি।সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও যদি মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ মেলে, তবে তার পদ বাতিল করার বিধান রয়েছে।সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ ব্যবস্থা প্রচলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করা। নির্বাচন কমিশন চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তিনি বলেন, ইসি নির্বিকার থাকায় হলফনামার গ্রহণের উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের মতে, প্রার্থীদের হলফনামা অনুযায়ী সম্পদের তারতম্য অনুসন্ধান করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই ইসি এ কাজে এনবিআর ও দুদকের সহযোগিতা চাইতে পারে।ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, প্রার্থী মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে যেসব তথ্য দাখিল করেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা সেগুলো যাচাই করেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী কোনো তথ্য গোপন করলে সেটা যদি কেউ অভিযোগ করেন, তা হলে সেটা যাচাই করা হয়। যদি অভিযোগ না আসে তা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে জানা কিংবা যাচাই করা সম্ভব হয় না।ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালের শুরুর দিকে প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার বিষয়টি প্রথম ইসির নজরে আনেন উচ্চ আদালত। তবে পক্ষে-বিপক্ষে আদালতেই লড়াই চলে প্রায় আরও তিন বছর। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে এই হলফনামা। এতে প্রার্থীর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও মামলাসংক্রান্ত বিবরণীসহ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় আট ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংযোজনের বাধ্যবাধকতা। সেই সঙ্গে এর ব্যত্যয় ঘটলে বা অসত্য/মিথ্যা তথ্য দিলে মনোনয়ন বাতিল, এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও পদ হারানোর মতো শাস্তির বিধান আরোপ করা হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be3af03929, আমাদের সময়," ১৯ নভেম্বর ২০২৩,","নির্বাচন নয়, বিএনপির বার্তা জোর আন্দোলনে "," আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়ে দলটি বলেছে, এই মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়; সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারসহ একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সারাদেশে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সকলে সাহসের ওপর ভর করে বুক চিতিয়ে রাজপথে উপস্থিত হবেন। অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে এই হরতাল। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফেরত দিতেই এই দুর্বার আন্দোলন।’বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যেসব নেতা রাজপথে সক্রিয় কিংবা সহযোগিতা করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, এসব নেতাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে তালিকা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ভূমিকা রাখবে তাদের মধ্য থেকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।এদিকে, সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিয়ে কোনো দল জোটভুক্ত দলের প্রতীক ব্যবহার করতে চাইলে তা তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানানোর বিধান আছে। গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে হিসাবে গতকাল শনিবার ছিল ইসিকে জানানোর শেষ সময়। গতকাল শেষ দিনে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সাড়া দেয়নি, সেসব দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে স্থায়ী কমিটির দুই নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএনপি। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এসব দলকে চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।বিএনপি ছাড়াও তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নিবন্ধিত ও অনবন্ধিত সমমনা জোট ও দল। দলগুলো হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), গণফোরাম (মন্টু) ও পিপলস পার্টি, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ ও নুরুল হক নুরুর গণঅধিকার পরিষদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।একইভাবে তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টিও (এবি পার্টি)। এদের বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাম গণতান্ত্রিক জোটও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে ওলামা ইসলামী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও নির্বাচনের ব্যাপারে তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা মনে করেন, তফসিল প্রত্যাখ্যানের পর জোটগতভাবে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে এসব দল ইসির আহ্বানের শেষ দিনেও সাড়া দেয়নি। এটা বিরোধী শিবিরের চলমান আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক; বড় ধরনের সফলতাও। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু তারা ভাবছেন না। তার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে সফলতা পাবেন তারা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির বিশ^াস সরকারবিরোধী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। দল ও সমমনা জোটের কিছু নেতাকে নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে বিষয়টি চিন্তায় না রেখে সবাইকে নিয়ে পথ চলতে চায় দলটি।যুগপৎ আন্দোলনে সরাসরি নেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন। তবে দল দুটির সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের বোঝাপড়া রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। ইসলামী আন্দোলন হরতাল-অবরোধে না থাকলেও দৃশ্যত এখনো সরকারবিরোধী অবস্থানে আছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম আমাদের সময়কে বলেন, এই সরকারের অধীনে তারা যে নির্বাচনে যাবেন না, তা পরিষ্কার। এখানে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।তবে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণাকে এখনই শেষ কথা ভাবতে চাইছেন না বিএনপির অনেকে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউে মনে করেন, সরকারবিরোধী মনোভাব ধরে রাখলে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বও বাড়বে।পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামী মোর্চাও তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মোর্চার সঙ্গে যুক্ত খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, ‘বিদ্যমান পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচনে যাব না। এই তফসিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।’গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত গণতন্ত্র মঞ্চ বলেছে, ‘এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের জনগণ যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দল অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be76b24c8 , আমাদের সময়,"১৯ নভেম্বর ২০২৩,", ‘দলীয় সরকারের অধীনে ফেরেশতা দিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না’," গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে ফেরেশতা দিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আজ রবিবার রাজধানীর বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে ফেরেশতা দিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সেটা ১৪ ও ১৮-তে প্রমাণিত। ১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিল, এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। সকলের সাথে আলোচনা করে দ্রুতই নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু আর নির্বাচন হয়নি। ১৮ সালে সব দলকে গণভবনে ডেকে নিয়ে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিল, “আমি শেখ মুজিবের কন্যা, আমার ওপর আস্থা রাখেন। আমি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেব।” সেই কথাও তিনি রাখেননি। তিনি রেখেছেন ভারতের কথা। ভারতের কথায় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে গণতন্ত্র ধ্বংস করে ৭৫-এর মতো একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে ১৪ ও ১৮-তে একতরফা নির্বাচন করেছে।’নুর বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ ৭৫-এ যেমন বাকশাল মেনে নেয়নি, একতরফা নির্বাচনও মেনে নিবে না। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুরাষ্ট্র, সংস্থাগুলো বারবার সরকারকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার সুরক্ষা দিতে সরকারকে সতর্ক করছে। একতরফা নির্বাচন হলে সরকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। তাই প্রধানমন্ত্রী কে বলব, আপনি একতরফা নির্বাচন করে দেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করবেন না।’গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। গতকাল গুলিস্তানে সারাদিন রাস্তা বন্ধ রেখে প্রধানমন্ত্রী নমিনেশন ফরমের উদ্বোধন করেছে। কিন্তু গতকাল সারাদিন ও আজকেও বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ সশস্ত্র পাহারায়। অথচ আওয়ামী লীগ আমোদ-ফূর্তি করে আজও রাস্তা অবরোধ করে নমিনেশন ফরম বিতরণ করছে। আওয়ামী লীগ রাস্তা সারাদিন বন্ধ রাখলেও পুলিশ প্রশাসন কিছু বলে না, অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলেও সেখানে পুলিশের বাধা। এই হলো পুলিশের গণতান্ত্রিক আচরণ।’গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. মুরাদ, সহনারী বিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be44491813 , আমাদের সময়," ১৯ নভেম্বর ২০২৩,",নির্বাচনে যারা অংশ নেবে তারা জাতীয় বেইমান ," ‘প্রহসনের’ নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল শনিবার মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতাল সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রহসনের তফসিল ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেÑ ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে সেই দায় তাদের ওপরই চাপিয়ে নেতাকর্মীর নামে মামলা এবং গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমনের ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করেছে সরকার। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের সেই অন্যায়কে বৈধতাই দিল শুধু।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হাজারও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী যখন জেলে এবং লাখ লাখ নেতাকর্মী পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে বাড়িছাড়া, তখন এ রকম অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার করেছে। এগুলো পরিষ্কার করে যে, এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়!তাই বাংলাদেশের জনগণ যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দলও অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।’অনতিবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আজ রবিবার থেকে শুরু হওয়া সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানায় গণতন্ত্র মঞ্চ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018be8f7facb7 , আমাদের সময়,"২০ নভেম্বর ২০২৩, ", সহিংসতামুক্ত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা মানবাধিকার কমিশনের," সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এমন মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গতকাল কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।ড. কামাল বলেন, পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কী ভাবছে এবং আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের পর্যালোচনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়েছি। বলেছি, আমরা চাইÑ সহিংসতামুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিতর্কিত ধারা সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার কথা জানিয়েছি।বৈঠকে পর্যবেক্ষক দলের উপদেষ্টা এবং প্রধান লিনফোর্ড এন্দ্রুস, রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন্দে মালেলেকা, নির্বাহী কর্মকর্তা জিপ্পি অজাগো, সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা (এশিয়া) সার্থক রায় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bea778dea9 , আমাদের সময়,"২০ নভেম্বর ২০২৩, ", আ.লীগ সরকারও ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : গণতন্ত্র মঞ্চ," ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, তাদের অধীনে কোনো বিরোধী দল ও জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে না। গতকাল বিজয়নগর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত মিছিল শেষে সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষনেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আওয়ামী লীগের মিত্র জাপাও এখন তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে। এখন নির্লজ্জের মতো আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতিকে নির্বাচন বলে।বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, একতরফা নির্বাচনের তফসিল জনগণ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করেছে। তারপরও সরকারি দলের নেতাদের মিথ্যাচারে শয়তানও লজ্জা পাচ্ছে। সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bea7318df3 , আমাদের সময়,"২০ নভেম্বর ২০২৩, ", বিএনপির নামে অপবাদ একতরফা নির্বাচনের কৌশল," দেশে ‘একতরফা’ নির্বাচন করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের ‘পাপেট’ হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।রিজভি বলেন, মেরুদ-হীন পাপেট নির্বাচন কমিশন আওয়ামী নির্বাচনী তফসিল বাস্তবায়ন করতে মুখ লুকিয়ে জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। আর নিশিরাতের সরকারের অবৈধ মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ সমর্থক, পুলিশ-র‌্যাব-গোয়েন্দা গোটা দেশে ভোটাধিকারেরদাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে হায়েনার মতো। ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ, হাটবাজার, জনপদ-লোকালয়, শহর-বন্দরে থাকা গণতন্ত্রকামীদের।রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী নিপীড়নে বিএনপির নেতাকর্মী যেন মৃত্যু থেকে কয়েক মিনিট দূরে অবস্থান করছেন। বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা হচ্ছে। যশোরে প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাসভবনে ভয়াবহ বোমা হামলার মতো সারাদেশে নারকীয় তা-ব চালানো হচ্ছে।রিজভী বলেন, লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে, গানপাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার বীভৎস কাজ করেছে আগুনসন্ত্রাসের দল আওয়ামী লীগ। আর দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার অপবাদ দিয়ে প্রচার চালিয়েছে। পুনরায় সন্ত্রাসের অপবাদ দিয়ে ২০১৪-১৫ সালের ন্যায় আর বিদেশে মার্কেটিং করতে পারছে না। কারণ সারা দুনিয়া টের পেয়েছে বিএনপির নামে সন্ত্রাসের অপবাদ মূলত একতরফা নির্বাচনের কৌশল।গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫১০ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন মামলায় ২ হাজার ৮৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান রিজভী।শনিবার সাভারে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, তার দাম্ভিকতাপূর্ণ কণ্ঠ শুনে দেশের মানুষ স্তম্ভিত ও হতবাক হয়েছে। তিনি বলেছেন- আগামী ১০ বা ১৫ বছরে বিএনপি বলে কোনো দল বাংলাদেশে আর থাকবে না। তার মানে এই সময়ে তারা বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দেবে।রিজভী বলেন, বিএনপিকে ভাঙতে সরকারের কোনো অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরণা ও মুক্তিকামী মানুষের আশা-ভরসার স্থল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018becdc3118 , আমাদের সময়,"২০ নভেম্বর ২০২৩, ",ইসির অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই ‘আত্মহত্যা’: রিজভী ," বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই ‘আত্মহত্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সারা দেশে হরতাল পালনের খবর জানাতে আজ সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ তারা নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোনো রদবদল করবে না বলে তারা জানিয়েছে। তাদের জন্য এটাই স্বাভাবিক। এই নির্বাচন কমিশন কী করে গ্যারান্টি দিতে পারে যে, এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। তাদেরকে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটাই তো বাস্তব সত্য। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে তাদেরকে কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো নির্বাচনী ‘আত্মহত্যা’।’’বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার নয়, পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার হিড়িক চলছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘গতকাল দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ১৪ জন নেতা এবং রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারেক হাসান সোহাগ, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জহির আলম নয়নকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এ সব ফরমায়েশি রায় সুপরিকল্পিত। নির্বাচনের আগে মাঠ ফাঁকা করার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শুধু মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারই নয়, পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। তরুণ এসব নেতাদের যদি সাজা দিয়ে আটকিয়ে রাখা যায় তাহলে শেখ হাসিনার অবৈধ মসনদ টিকে থাকবে বহুদিন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এদের পরিবার-পরিজন অসহায়, কে তাদের পরিবারকে দেখবে। এই সরকারের আমলে ২০টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ১৫৩ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৪শ ৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ে ১৭টি মামলায় ১ হাজার ৯৯০ জনের অধিক নেতাকর্মী (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত) আসামি করা হয়েছে। ৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে।’দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ঘটনা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং তার বড় ছেলে সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন জীবনকে পুলিশ বাড়িতে না পেয়ে আসাদুজ্জামান আসাদের ছোট ছেলে রিফাত (১৮) ও ভাতিজা আফ্রিদিকে (১৮) তুলে নিয়ে যায়। অথচ আসাদের ছোট ছেলে ও ভাতিজা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শুধু ভাই এবং বাবা, চাচা বিএনপির রাজনীতি করার কারণে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসানকে গতকাল রবিবার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ২টায় তার নানীর মৃত্যুর খবর পায়। নানীকে শেষবারের মতো দেখার জন্য সন্ধ্যায় তানভীর হাসানের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাকিল মাহমুদকে না পেয়ে তার বাবা শফিকুল ইসলাম মেম্বারকে গত ১৮ নভেম্বর রাত ৮টায় গ্রেপ্তার করেছে ভূয়াপুর থানা পুলিশ।’ জামায়াতের নিবন্ধন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল গতকাল সেটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। এতে দলটিকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার দৃষ্টান্ত নতুন নয়। দেশবাসী এই রায়ে বিস্মিত না হলেও সুবিচার লাভের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারবিভাগে যুক্ত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্য এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করবে এ ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধিতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচারবিভাগের কাছেই প্রাপ্য, এর ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং অগ্রহণযোগ্য।’কারাগারে বিরোধী দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকনকে কারাগারে ডিভিশন না দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ডিভিশন দেওয়া হয়। শুধু ক্ষমতাসীন দলের কানেকশনের কারণে। আর দেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ ও এমপিদের ইচ্ছাকৃতভাবে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তাদেরকে অমানবিক পরিবেশে মেঝেতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। এই শীতে মেঝের ঠাণ্ডায় তারা চরম শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে ভুগছেন। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কারাকর্তৃপক্ষ এখনো তাদেরকে ডিভিশন দিচ্ছে না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bf7251862, আমাদের সময়,২২ নভেম্বর ২০২৩," গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচনে যাবে কি না, জানালেন নুর"," বিরোধী দলের ২০ হাজার নেতাকর্মীদের জেলে রেখে সরকার নির্বাচনের উৎসব করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীতে অবরোধ সমর্থনে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আজকে জনগণের ভোটের অধিকার ও নির্বাচনের পরিবেশ নাই। বিরোধী দলের কার্যালয় পুলিশ তালাবন্ধ করে রেখেছে। বিরোধী দলের ২০ হাজার নেতাকর্মীদের জেলে রেখে তারা নির্বাচনের খেলা ও উৎসব করছে। আমরা শুরু থেকেই বলছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সাজানো ও পাতানো প্রহসনের নির্বাচনে আমরা যাব না। আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে। তারপরেও আমরা মাথানত করি নাই।’নুর আরও বলেন, ‘চলমান গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আগামীতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’গণঅধিকারের আজকের মিছিলটি পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান মুন্না, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিমসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bf34485f83, আমাদের সময়,২২ নভেম্বর ২০২৩, ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন পরিহার করতে হবে," লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া বন্দুকের জোরে নির্বাচন করা হলে তা বর্তমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। দেশের জনগণকে জিম্মি করে কি শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে? ইতিহাস তা সাক্ষী দেয় না।দেশের অর্থনীতির সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিন। দেশকে ধ্বংস থেকে রক্ষার ব্যাপারে ঠা-া মাথায় চিন্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। প্রশাসনিক শক্তির অপব্যবহার করে ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনের চিন্তা পরিহার করতে হবে।গতকাল এক বিবৃতিতে অলি আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দমনের জন্য সরকার প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে, শত শত গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে রয়েছে। ডলার, রিজার্ভ সংকটাপন্ন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচার লড়াইয়ে পর্যুদস্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অবৈধ জেল-জুলুম-শাস্তি থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানাই।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bf318bdd84, আমাদের সময়,২১ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে বর্জনের হুমকি বিলাওয়ালের," পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ না হয়, তা হলে সেই নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছেন দেশটির অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরা জেলায় পিপিপির এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিলাওয়াল বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছে যে পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় দল নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের (সামরিক বাহিনী) সঙ্গে গোপনে সমঝোতা করতে চাইছে। যদি তেমন হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে যাবে। পাকিস্তানের জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচন যদি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু না হয়, সেক্ষেত্রে জনগণ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।’ নিজ বক্তব্যে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি পিপিপি চেয়ারম্যান; তবে ‘জনপ্রিয় দল’ বলতে যে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএলএনকে বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট।পাকিস্তানের রাজনীতিতে বহু বছর ধরে পিএমএলএন এবং পিপিপি পরস্পরের প্রতিযোগী ও প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময়ে একজোট হয়েছিল পিএমএলএন ও পিপিপি।ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার পতনের পর পিএমএলএনের নেতৃত্বে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএম) নামের নতুন যে রাজনৈতিক জোট সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই জোটে ছিল পিডিএমও। সেই সরকারের মেয়াদ শেষ হয় ৯ আগস্ট। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bf1bbba57, আমাদের সময়,২২ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের জন্য শতভাগ পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি: জাপা মহাসচিব," নির্বাচনের জন্য শতভাগ পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদল সম্ভব নয়। গেল ৩৩ বছরে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচন নিয়েই কথা আছে। এমনকি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে যারা জিতেছে, তারা বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আর যারা ক্ষমতায় যেতে পারেনি, তারা বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন সামনে এসেছে। আমরা সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চেয়েছি, নির্বাচনের জন্য আস্থার শতভাগ পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।’জাপা মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের মনে প্রশ্ন আছে, ভোট কেন্দ্রে গেলে তারা ভোট দিতে পারবে কি না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে শংকা ও সংশয় আছে। তাই আমরা ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছি। আমরা কোনো জোট বা মহাজোট করব না, আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব।’সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মহল স্বার্থসিদ্ধির জন্য ষড়যন্ত্র করছে। গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’চুন্নু বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেগম রওশন এরশাদ গতকাল দুই বার ফোন করে আমাকে বলেছেন, তার এবং তার ছেলের (সাদ এরশাদ) জন্য মনোনয়ন ফরম নেবেন। কিন্তু গতকাল কেউই মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন নাই, আজ হয়তো আসতে পারেন।’জাপা মহাসচিব জানান, আজ ৬২২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে মোট ১ হাজার ১৭৯টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে।উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে মনোয়নয়নপত্র গ্রহণ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, আব্দুর রশীদ সরকার, লিয়াকত হোসেন খোকা, উপদেষ্টা পনির উদ্দিন আহমেদ। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bed726e30, আমাদের সময়,২০ নভেম্বর ২০২৩, ‘একতরফা’ নির্বাচন আয়োজনে ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ," ইসির তফসিল ঘোষণা ও সরকারের আয়োজিত নির্বাচনকে একতরফা দাবি করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একইসঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে তাদের এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন উপযোগী একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা জানান, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সরকার সম্প্রতি আরও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরই অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী দলের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে বলে আমরা মনে করি।’এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা অতীতের দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি— একতরফা, বিতর্কিত ও সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জবাবদিহি থাকে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে অর্থপাচার ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি বিতর্কিত এবং একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’বিবৃতিদাতারা হলেন আলী ইমাম মজুমদার, আনু মুহাম্মদ, স্বপন আদনান, দিলারা চৌধুরী, শহিদুল আলম, শিরিন হক, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা নিত্রা, রেহনুমা আহমেদ, নূর খান লিটন, অরূপ রাহী, রাখাল রাহা, মাহবুব মোর্শেদ, সাঈদ ফেরদৌস, মির্জা তসলিমা সুলতানা, রায়হান রাইন, সায়েমা খাতুন, আ-আল মামুন, সাখাওয়াত টিপু, তবারক হোসেইন, সুব্রত চৌধূরী, হানা শামস আহমেদ, নায়লা জামান খান, মোশরেকা অদিতি হক, সায়দিয়া গুলরুখ, রেজাউর রহমান লেনিন, মারুফ মল্লিক, মাইদুল ইসলাম, নাসরিন খন্দকার, এহ্সান মাহমুদ, মাহা মির্জা, বাকি বিল্লাহ, মনির হায়দার, অমল আকাশ, আর রাজী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, লতিফুল ইসলাম শিবলী, ফেরদৌস আরা রুমী, রোজিনা বেগম, সাঈদ বারী, সাদাফ নূর, মুহাম্মদ কাইউম, জিয়া হাশান, আসিফ সিবগাত ভূঞা, জি এইচ হাবীব ও মোস্তফা নাজমুল মানছুর।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bd939c8682, আমাদের সময়, ১৭ নভেম্বর ২০২৩, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই," আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। ব্যাপারটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে, তারা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয় না, যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমান সুযোগ) থাকে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণারপরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর এখন সরকারের কাজকর্ম কেমন হবে? এর জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার রুটিন কাজ করে যাবে। এ সময়ে কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না। এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।রুটিন কাজ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গতানুগতিক অফিস চলা।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে উন্নয়নকাজ চলমান থাকবে। কিন্তু নতুন করে উন্নয়নকাজ শুরু হবে না (নতুন প্রকল্প)। যা কিছু নির্বাচনকে একটি দলের পক্ষে প্রভাবিত করতে পারে, সে রকম কাজ করা হবে না।এ সময়ে আইন হবে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন হবে না। কারণ সংসদ অধিবেশন বসবে না। কিন্তু যদি এমন প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, সেটি বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থা হতে পারে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ?সংবিধান অনুযায়ী আমরা চলব, সংবিধানের বাইরে আমরা কিছুই করব না।আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে জনগণ যদি ভোট দেন, কে এলো, কে না এলো, কোন রাজনৈতিক দল এলো না, সেটা বড় ব্যাপার নয়। জনগণ যদি ভোট দেন, সেটাই গ্রহণযোগ্য। কারণ জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। ব্যাপারটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে, তারা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয় না, যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমান সুযোগ) থাকে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর এখন সরকারের কাজকর্ম কেমন হবে? এর জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সরকার রুটিন কাজ করে যাবে। এ সময়ে কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না। এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।রুটিন কাজ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গতানুগতিক অফিস চলা।’ তিনি আরও বলেন, এ সময়ে উন্নয়নকাজ চলমান থাকবে। কিন্তু নতুন করে উন্নয়নকাজ শুরু হবে না (নতুন প্রকল্প)। যা কিছু নির্বাচনকে একটি দলের পক্ষে প্রভাবিত করতে পারে, সে রকম কাজ করা হবে না।এ সময়ে আইন হবে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন হবে না। কারণ সংসদ অধিবেশন বসবে না। কিন্তু যদি এমন প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, সেটি বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থা হতে পারে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ?সংবিধান অনুযায়ী আমরা চলব, সংবিধানের বাইরে আমরা কিছুই করব না।আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে জনগণ যদি ভোট দেন, কে এলো, কে না এলো, কোন রাজনৈতিক দল এলো না, সেটা বড় ব্যাপার নয়। জনগণ যদি ভোট দেন, সেটাই গ্রহণযোগ্য। কারণ জনগণ সব ক্ষমতার উৎস।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bd977847a1, আমাদের সময়, ১৭ নভেম্বর ২০২৩, আগ্রহের নির্বাচনে অনাগ্রহের বার্তা," বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি দফায় দফায় অবরোধ ডেকেছে। এখনো চলছে অবরোধ। সবকিছু ছাপিয়ে নির্বাচন নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা, কৌতূহল ও শঙ্কা। ইতোমধ্যে সংলাপ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ অনেক দিনের। এখন এই চাপ আরও বেড়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে মনে হচ্ছে দুটি দলের কেউই এ চাপকে খুব বেশি তোয়াক্কা করছে না, বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দুই দলই বেশ অনমনীয়। সংলাপ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সম্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে, বিএনপিকে সংলাপে এলে শর্তহীনভাবেই আসতে হবে। কিন্তু সেটিতে সাড়া দেয়নি বিএনপি। বতর্মানে আন্তর্জাতিক চাপ ও শর্তহীনভাবে সংলাপে বসার আহ্বান জানানো চিঠিটিকেও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না দুটি দল। এর মধ্যে রাজনীতি অঙ্গনে বেশি আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশে বিষয়ে ভারত-আমিরকার মধ্যকার সংলাপ ও দিল্লিতে বৈঠক।সব দিক থেকে ২৪ ঘণ্টায় কান খাড়া রাখার মতো টালমাটাল অবস্থা এখন বাংলাদেশের রাজনীতি ঘিরে। একদিকে বিএনপির ডাকে জারি থাকা অবরোধে নিম্নবিত্ত মানুষের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। অন্যদিকে ভয়ে অনেকটাই শুকিয়ে যাওয়া আত্মাকে কোনোভাবে টেনে নিয়েই মানুষজন রাস্তায় বের হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ভয় হচ্ছে ঘরে নিরাপদে পৌঁছাতে পারবে তো নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে বলেও বেশি শঙ্কিত সবাই।আসলে কী হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচনে বিএনপি এলে এক রকম আর না এলে আরেক রকমই। কীভাবে সবার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা যায় বিএনপি নির্বাচনে না এলে তারা আসলে কী করবে নির্বাচন ঠেকাতে চাইবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে নির্বাচন মেনে নেবে চাপ আছে বিএনপির ওপরও। তারাও যদি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার চেষ্টা করে, তা হলে তাদের ওপরও প্রয়োগ হবে আমেরিকার ভিসানীতি। দুই দলই ‘ভাবে অষ্টমী’ হলেও আসলে ভেতরে ভেতরে অনেকটাই চাপে রয়েছে।সবার মনেই একটি প্রশ্ন, নির্বাচন কি শেষ পর্যন্ত হবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি আগের দুইবারের মতোই নির্বাচন হবে এবারও কি মানুষ তা হলে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবারও কি তা হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ থেকে শঙ্কা বেশি থাকবে এ প্রশ্নগুলোকে সঙ্গে নিয়েই চলছে নির্বাচনের জন্য প্রতীক্ষা। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে আগের অবরোধে সমর্থন দিয়েছে।আগামী সপ্তাহ থেকে আসতে পারে হরতাল। ইতোমধ্য বিভিন্ন দল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিএনপির পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক জোটও এই একতরফা তফসিল ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এখন পরিস্থিতি কী হবে বোঝাই যাচ্ছে তফসিল ঘোষণার পক্ষ-বিপক্ষ। কেউ কেউ বলছেন, সংলাপ এখনো হতে পারেÑ যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায়। তফসিল ঘোষণা করলেই যে নির্বাচন সেদিনেই হয়েছে, এমন নয়। এর আগেও বাংলাদেশে তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। সরকার বলছে, এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সরকারের মন্ত্রীরা মাস দুয়েক থেকে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে যেসব কথা বলছেনÑ এতে মনে হয়েছে, তারাই নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। কারণ যে কাজ নির্বাচন কমিশনের করার কথা অর্থাৎ তফসিল নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, কিছুতেই রাজনৈতিক দলগুলোর নয়। অথচ ওই কাজ কেন তারা করছেন? তা ছাড়া গত তিনটি উপনির্বাচনে, বিশেষ করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য যেভাবে সিল মারা হয়েছে, এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা আসতেই পারে।এ নির্বাচন ঘিরে চ্যালেঞ্জ অনেকই। সরকারি দলের চ্যালেঞ্জ হলো একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। বিএনপির চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ওই নির্বাচন প্রতিহত করা। সেটি কী উপায়ে করা হবে? সংলাপের সম্ভাবনা একবারেই ক্ষীণ। দুটি দলই মনে করছে, জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। তবে বিএনপি যে সহিংস কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে, সেটি বোঝা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগে ছয় মাস ধরে বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে যেভাবে তাদের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়েছে এবং তাদের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে, ওই বিবেচনায় আওয়ামী লীগও এই সহিংসতার দায় এড়াতে পারে না। বিশেষ করে গত এক বছরে বিএনপির নানা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এসব বিবেচনায় সংলাপের সুযোগ যে কম, তা আগে থেকেই অনুমেয় ছিল।তফসিল ঘোষণার পর থেকেই হরতালের কর্মসূচি। এর পরও অনেক কিছুই ঘটবে। এর মানে কি এ দেশে নির্বাচন মানেই সহিংসতা। জনগণ নির্ভয়ে তার ভোট প্রদানের অধিকারটুকু আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলছে? বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায়, তা হলে কি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই নির্বাচন হবে? কেন এখনো সংলাপ জরুরি? কেন দুটি দল সংলাপ বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়?এবারের তফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনার বেশকিছু চাওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন- যা অন্যান্যবারের চেয়ে আলাদা। তিনি কয়কে দফাই সংঘর্ষ এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছেন। আমার জানা মতে, এই প্রথম কোনো নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘর্ষ পরিহারের কথা বলেছেন। আমরা সব সময় বলছি, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। আমরা ব্যক্তিকে ‘দলীয়’ বলে দোষারোপ করি। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারাল, আমরা সেটি নিয়ে আলোচনা করি না। ব্যক্তিকে দোষ দিয়েই আমরা দায়িত্ব শেষ করি। নির্বাচন কমিশনার সব রাজনৈতিক দলের কাছেই সহযোগিতা আশা করছেন। কিন্তু এ সহযোগিতা শেষ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই চাপ, তাপ ও ক্ষমতা চর্চায় ঠেকে। সেদিক থেকে এ নির্বাচন নিয়ে আস্থার জায়গাটা কিছুটা ক্ষীণ।অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, সহিংসতা ছাড়া তাদের আর পথ নেই। আর জনগণকে নিয়েই তারা এটি করছেন। তবে রাস্তায় গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনার দায় আবার বিএনপি নিচ্ছে না।সবচেয়ে বড় জায়গা হলো, এই নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিস্থতিতে জনগণের অবস্থান কোথায়? জনগণও চায় দুই দল বসে ঠিক করুক। এ চাওয়ার পেছনে একটিই যুক্তি আর তা হলো সংঘাত-সহিংসতা এড়ানো। মানুষ অবরোধ, হরতাল, সংঘাত, সংঘর্ষের কিছুই চায় না। কিন্তু আমাদের দুটি দলই সহিংসতা করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আর সহিংসতাকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় বলে জনগণ দুটি দলের কাছেই মূল্যহীন। যদি তাদের কাছে জনগণই গুরুত্বপূর্ণ হতো, তা হলে তারা তাদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিত।এখানে একটি কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে, বিএনপি নির্বাচনে এলেই যে ওই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবেÑ এমনটিও বলা যাচ্ছে না। তবে অংশগ্রহণমূলক হবে হয়তোÑ এটি বলা যায়। আওয়ামী লীগের আপাত বড় শক্তি বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাহাস। আর বর্তমানে বিএনপির বড় শক্তি বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য অনেক দলই তফসিল বিষয়ে তাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তবে এখানেই জনগণের মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।জনগণ নির্বাচন চায়। তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার ফেরত চায়। ওই অধিকারের প্রতি মনোযোগী হওয়াই দুই দলের কাছে আশা-আকাক্সক্ষা জনগণের। কিন্তু সেটি হচ্ছে না, হওয়ার জায়গাটিও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। তবে রাজনীতিতে যেহেতু শেষ বলে কিছু নেই, সেহেতু হয়তো অনেক কিছুই ঘটবে। নির্বাচন ঘিরে জনগণের চাওয়ার জায়গাটিতে আমরা পৌঁছাতে পারব কি?",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bdbed9b32, আমাদের সময়, ১৭ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে, আমি খুশি না: কাদের সিদ্দিকী"," কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে, এটা নিয়ে অনেকে খুশি না। আমি নিজেও খুশি না। কিন্তু তার পরেও বলব, একটি গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পর পর অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ প্রভাব মুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার, বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছে সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচন করতে হবে।’মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় তার মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বলব এখন সরকার নাই, এখন সরকার নির্বাচন কমিশন। ইচ্ছে স্বাধীন যেন কোনো কিছু না করা হয়। গতবারের মতো ভোটারহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ও তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে আমার বোন শেখ হাসিনার।’ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সমালোচনা করেকৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের।’তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকার স্যাংশনের ভয়ে আমরা বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলের বিয়ে করাব এটা চিন্তা ভাবনা করা উচিত না।’কাদের সিদ্দিকী বলেন, সামনের নির্বাচনে ৩০০ আসনেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তা করছে।এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bd444091116, আমাদের সময়, ১৬ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বাইরের হস্তক্ষেপে উদ্বেগ ৮২৫ শিক্ষকের," একটি ‘বিদেশি রাষ্ট্রের’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৫ জন শিক্ষক। গতকাল বুধবার দেওয়া এ বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেছেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলনে জনসমর্থন না পেলেও উক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতমূলক আচরণে উৎসাহিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাচ্ছে।’বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্রের সই করা এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ না করে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী বিধিব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত সে দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি বিতরণ করেছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।’বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর আগে একদফা শর্ত জুড়ে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতই শর্তহীন সংলাপ নাকচ করেছে। রাষ্ট্রদূতের পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের পুরনো হুমকি ব্যক্ত করা হয়েছে।’বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘দেশটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। একই ধারাবাহিকতায় তাদের নীতি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে রসদ জুগিয়ে চলেছে।’শিক্ষকরা বলেন, ‘সহিংসতা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দল ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির অপতৎপরতায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রটি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বললেও বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে নারী-শিশুসহ গণহত্যায় নগ্নভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষাবলম্বন করেছে। তারা গণতন্ত্রের নামে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এবার তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগ্রসরমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রÑ যেটি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তার উন্নয়নের ধারাকে পশ্চাদগামী করার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অপতৎপরতায় রসদ জোগাচ্ছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bd345620a, আমাদের সময়, ১৫ নভেম্বর ২০২৩," নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না জাপা"," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের দুটি আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এসব নির্বাচনে আমরা যে প্রার্থী দিয়েছিলাম, কখনো আশা করিনি তারা পাস করবেন। তারা পাস করার মতো প্রার্থীও না। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সহ্য করতে পারেনি। তাদের প্রার্থী পাস করবে জেনেও সিল মারছে। কারণ, সিল মারা তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, একটা ম্যানিয়া হয়ে গেছে। ভোটারদের তারা কষ্ট দিতে চায় না।’নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জাপার প্রুস্তুতি সম্পর্কে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইসহ ইশতেহার এবং ফরম ছাপানোর কাজ করা আছে কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না, নির্বাচন করব কি করব না। কারণ, গত পাঁচ বছরে এই সরকারের আমলে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো না।’নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আমাদের কোনো কথা নাই। আমাদের কথা একটাই— আমরা নির্বাচনের একটা পরিবেশ চাই।’জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক দফা যে তারা তাদের অধীনেই নির্বাচন করবে, আর বিএনপির এক দফা তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। দুই দলের এক দফায় দেশের মানুষ আজ জিম্মি। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। এখনো সময় আছে, দুই দলকে এক দফা থেকে সরে এসে আলোচনায় বসা উচিত।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bcf01ef513, আমাদের সময়, ১৫ নভেম্বর ২০২৩, আগামী নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষা," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে- আগামী নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেপারেন, তা হলে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।নানক বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন, গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসায় কেন হামলা হলো? জাস্টিস কোয়াটারে কেন হামলা হলো? পুলিশ কনস্টেবলকে কেন হত্যা করা হলো? কারা সেই পুলিশ সদস্যের সন্তানকে পিতৃহারা করল? কেন সেদিন শত শত পুলিশকে নির্মমভাবে আহত করা হলো? কার স্বার্থে, কীসের স্বার্থে? এখন কেন অবরোধ দেওয়া হচ্ছে? কীসের অবরোধ? এ অবরোধ জনগণের বিরুদ্ধে অবরোধ।’আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে প্রাসাদে বসে লাদেনের মতো বক্তৃতা দেন। তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো- আমি যে দেশে থাকতে পারি নাই, সেই দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেব না। সেই দেশকে আমি স্থিতিশীল থাকতে দেব না।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট লাঘব করতে নিরন্তর পরিশ্রম করেন।নানক বলেন, ‘সোমবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খোঁজ নিয়েছেন। আমার নেত্রী যা বলেন, তা করেন। আমরা যা বলি, তা করি।’অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bd220bbe3, আমাদের সময়, ১৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বিদেশিদের হস্তক্ষেপে ঢাবির ৮২৫ শিক্ষকের উদ্বেগ," বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক মহলের অযাচিত হস্তক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আট শতাধিক শিক্ষক।আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। শিক্ষকদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এই বিবৃতি পাঠান। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন অচিরেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহকে সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পাটিসহ ২৬টি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ না করে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী বিধিব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত সে দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি বিতরণ করেছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে সরকারকে পদত্যাগের এক দফা শর্ত জুড়ে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতই শর্তহীন সংলাপের দাবিকে নাকচ করেছে। রাষ্ট্রদূতের পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের ওপর 'ভিসানতি' প্রয়োগের পুরনো হুমকি ব্যক্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। একই ধারাবাহিকতায় তাদের নীতি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে রসদ যুগিয়ে চলেছে। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে জনসমর্থন না পেলেও উক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতমূলক আচরণে উৎসাহিত হয়ে তারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কলকারখানা ভাঙচুর, পুলিশ ও সাধারণ পথচারী হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও তথাকথিত মানবধিকার ও গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা রাষ্ট্রটি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি; নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থকারীদের ওপর ভিসানীতিও প্রয়োগ করেনি।এ রাষ্ট্রটি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বললেও বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে নারী-শিশুসহ গণহত্যায় নগ্নভাবে ইসরাইলিদের পক্ষাবলম্বন করেছে। তারা গণতন্ত্রের নামে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এবার তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগ্রসরমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র- যেটি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তার উন্নয়নের ধারাকে পশ্চাদ্গামী করার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অপতৎপরতায় রসদ যোগাচ্ছে।এ ছাড়া গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অসত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ‌‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ শিরোনামের প্রেস ব্রিফিং-এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ ধরনের পদক্ষেপ মানুষ-হত্যা, ভাঙচুর, সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে যারা তৎপর রয়েছে তাদেরকে উৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করি।সহিংসতা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দল ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির অপতৎপরতায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bce7033ec, আমাদের সময়, ১৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসতে পারে: জি এম কাদের," দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার এখনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় যদি আমরা নির্বাচনে যাই, আর যদি পরবর্তীতে সরকার সমস্যায় পড়ে তাহলে কী হবে?’সভায় অংশ নেওয়া নেতাদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার। নানা বিষয়ে আমাকে ভেবে দেখতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি এসেছে আমাদের কাছে। এই চিঠির গুরুত্ব অনেক। এটা যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল চিঠি। তারা সংলাপ চাচ্ছে। আমরাও সংলাপের কথা বলে আসছি।’জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আর কোনো দলের মুখাপেক্ষী থাকতে চাই না। এখন দলগতভাবে আমরা অনেক শক্তিশালী। আমাদের ইউনিটি অন্য সময়ের থেকে অনেক বেশি এখন।’তিনি বলেন, ‘এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সবগুলো রাজনৈতিক দল খাদের কিনারে চলে এসেছে। সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে দল গভীর খাদের কিনারে চলে যেতে পারে, পড়তে পারে অস্তিত্ব সংকটে। তবে দল এখনো পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কি না বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বাঁধবে কি না এসব বিষয়ে অবস্থার প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’অনুষ্ঠানে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে রাজনীতি নয়, ক্ষমতার রাজনীতিতে কিছু কৌশলও অবলম্বন করতে হয়। এখানে দাবার গুটি যে চতুরভাবে চালতে পারবে, সেই সফল হবে। দলের প্রয়োজনে হয়তো আমাদের আদর্শ-নীতির সঙ্গে আপস করতে হতে পারে। যদি তা করতে হয়, তবে আমরা চেয়ারম্যানকে ব্লাইন্ড সাপোর্ট দেব।’এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bcd6d96eb, আমাদের সময়, ১৪ নভেম্বর ২০২৩, আসন্ন নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ‘অগ্নিপরীক্ষা’: নানক," আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ‘অগ্নিপরীক্ষা’ উল্লেখ করে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আগামী নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে পারেন, তাহলে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।’আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নানক। গত ১৪ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটটি পুড়ে যায়। ৬০ দিন পর মার্কেটটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হলো।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন, আমাদের গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, কী কারণে ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা হলো। কীসের জন্য পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করা হলো।’বিএনপির অবরোধ জনগণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কারা তাকে (নিহত পুলিশ সদস্যের সন্তানকে) পিতৃহারা করলো? শতশত পুলিশকে নির্মমভাবে আহত করলো? কীসের স্বার্থে? অবরোধ করছেন? কীসের অবরোধ? এই অবরোধ জনগণের বিরুদ্ধে।’নানক আরও বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনের প্রাসাদে থাকেন। তিনি ওখান থেকে লাদেনের মতো বক্তব্য দেন। তার লক্ষ্য হলো, আমি যে দেশে থাকতে পারি নাই, সেই দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবো না। তার লক্ষ্য, যে দেশে আমি থাকতে পারি না, সেই দেশকে স্থিতিশীল থাকতে দেবো না। তিনি চান, আমি যে দেশে শিক্ষা নিতে পারি নাই– ম্যাট্রিক পাস করতে পারি নাই, সেই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে দেবো না।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bc38fc6fd, আমাদের সময়, ১২ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার স্বপ্নে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে: তথ্যমন্ত্রী," তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না।’আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে লায়ন মুহা. মীযানুর রহমান রচিত ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে কিংবা নাও করতে পারে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানে, দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের, জনগণের এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সে জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সেটি করা হবে। আর তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট, তারা গণতন্ত্রকে নসাৎ করতে চায়, দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। নির্বাচন বর্জন করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আগামী কত বছর কাটবে জানি না।’তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের এত জনপ্রিয়তা যেটি তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যমী কর্মী যারা ২০ মিনিটে সমাবেশের ময়দান থেকে চলে গেছে, তারা কতটুকু নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাঁদরেল জাঁদরেল নেতা পুলিশের গুলি বা টিয়ারগ্যাসও নয়, ছোটবেলায় যে বড় বাজি ফোটাতাম সেই বাজির আওয়াজে মঞ্চ থেকে চলে গেল। এই নেতাদের ওপর তাদের কর্মীরা কতটুকু আস্থা রাখে দেখি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bbdc5caf2, আমাদের সময়, ১১ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ: বিএনপি," বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন যে মন্তব্য করেছেন, তা দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়, এই বক্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে বিএনপি।দলের অবস্থান তুলে ধরে আজ শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত ৯ নভেম্বর ‘বিআরআইর ১০ বছর: পরবর্তী সোনালি দশকের সূচনা’ শীর্ষক সেমিনারে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা জনগণের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ওয়েন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলার’ ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁর এই উদ্বেগকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশাপাশি এটিও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনকারী দল হিসেবে বিএনপি সবসময় সেই সংবিধানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, যা জনগণ দ্বারা অনুমোদিত ও গৃহীত। দুঃখজনকভাবে, ভোট ডাকাতির অপসংস্কৃতির ধারক হিসেবে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অপপ্রয়াসে, বিতর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’বিএনপির বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এখানে উল্লেখ্য যে, জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল প্রশংসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে শেখ হাসিনা সরকার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাতিল করেছে। সাংবিধানিক আইনজ্ঞ ও সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞ মতামত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে, এই দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে পরপর দুইটি প্রহসনমূলক জাতীয় নির্বাচন স্পষ্টতই প্রমাণ করেছে যে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচনের নামে যে রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তায়ন, তাতে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি চিহ্নিত অংশ।’বিএনপি বিবৃতিতে উল্লেখ করে, ‘‘বস্তুত, চীন বাংলাদেশের ‘সংবিধান অনুযায়ী’ আসন্ন নির্বাচন দেখতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত ওয়েন যে মন্তব্য করেছেন, তা জনগণের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নয়। জনগণের একটি সুবিশাল অংশ গত দশ বছরে ভোট প্রদানের কোনো সুযোগ পাননি। আর তাই, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন ও কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার অধীনে নয়, বরং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন সমগ্র জাতি গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে, নিজেদের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানাচ্ছে।’’রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তবু বাস্তবতাকে অস্বীকার করে, বর্তমান সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে জানিয়ে মিডনাইট ফ্যাসিস্ট সরকার একগুঁয়েমি আচরণ ও নজিরবিহীন বলপ্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এতে এটিই পুনঃপ্রমাণিত যে, নির্বাচনে কারচুপির নীলনকশা সাজিয়ে, আরও একটি ভোট ডাকাতির নির্লজ্জ নাটক মঞ্চস্থের মাধ্যমে, আওয়ামী লীগ যথারীতি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ না করার জন্য চীনের রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেটির সাথে তাঁর নিজের বক্তব্যই অসামঞ্জস্যপূর্ণ, কারণ তিনিই আবার বলছেন বর্তমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।’বিএনপি বিবৃতিতে উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসা, বাণিজ্য, জ্ঞান ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে। বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনেই কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। তাই বিএনপি চীনকে আহ্বান করছে, বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির প্রতি আলোকপাত করার জন্য। দেশের মানুষের চলমান সংগ্রামে বিএনপি সর্বাত্মক সমর্থন প্রত্যাশা করে, যেন অচিরেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বিএনপি একসাথে গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিসমূহ পুনঃস্থাপন করতে চায়, যেন বাংলাদেশে আবারও প্রতিষ্ঠিত হয় আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bc02dfbc11, আমাদের সময়, ১২ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ - বিএনপি," বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন যে মন্তব্য করেছেন, তা দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়Ñ এই বক্তব্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে বিএনপি। দলের অবস্থান তুলে ধরে গতকাল শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত ৯ নভেম্বর ‘বিআরআইর ১০ বছর : পরবর্তী সোনালিদশকের সূচনা’ শীর্ষক সেমিনারে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা জনগণের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ওয়েন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলার’ ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তার এই উদ্বেগকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশাপাশি এটিও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনকারী দল হিসেবে বিএনপি সবসময় সেই সংবিধানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, যা জনগণ দ্বারা অনুমোদিত ও গৃহীত। দুঃখজনকভাবে, ভোট ডাকাতির অপসংস্কৃতির ধারক হিসেবে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অপপ্রয়াসে, বিতর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।”এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এখানে উল্লেখ্য যে, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল প্রশংসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে শেখ হাসিনা সরকার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাতিল করেছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে পরপর দুটি প্রহসনমূলক জাতীয় নির্বাচন স্পষ্টতই প্রমাণ করেছে যে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়।’বিএনপি বিবৃতিতে উল্লেখ করে, “বস্তুত, চীন বাংলাদেশের ‘সংবিধান অনুযায়ী’ আসন্ন নির্বাচন দেখতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত ওয়েন যে মন্তব্য করেছেন, তা জনগণের ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন নয়। রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন সমগ্র জাতি গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে, নিজেদের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানাচ্ছে।”রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ না করার জন্য চীনের রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেটির সঙ্গে তার নিজের বক্তব্যই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ তিনিই আবার বলছেন বর্তমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।’বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির প্রতি আলোকপাত করার জন্যও বিএনপি চীনকে আহ্বান জানিয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bc02c60963, আমাদের সময়, ১২ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা প্রতারণার শামিল," নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘যে কোনো মূল্যে’ নির্বাচন আয়োজনের যে ঘোষণা দিয়েছে তা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে অভিযোগ তুলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল শনিবার মঞ্চের সমন্বয়ক ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়।এ ছাড়া ওই বিবৃতিতে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। চলমান যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত জোটটির বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমনের ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করেছে। তারা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান বিবৃতিতে।বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণ যে নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দল অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।’বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দাবি করে বিবৃতিতে ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং নাশকতা মোকাবিলা করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bbe15cf70, আমাদের সময়, ১১ নভেম্বর ২০২৩, ‘যেকোনো মূল্যে’ নির্বাচনের ঘোষণা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল: গণতন্ত্র মঞ্চ," চলমান অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘যেকোনো মূল্যে’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। চলমান যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করে।আগামীকাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতারা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে সেই দায় বিরোধীদলের ওপর চাপিয়ে নেতাকর্মীদের মামলা ও গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমনের যে ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করেছে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যখন হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী জেলে এবং লাখ লাখ নেতাকর্মী পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে বাড়িছাড়া, তখন এই রকম অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের ‘যেকোনো মূল্যে’ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এগুলো পরিষ্কার করে এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়! তাই বাংলাদেশের জনগণ যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধীদল অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনতিবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে যুগপৎ ধারায় আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর (৪৮ ঘণ্টা) সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে উদাত্ত আহ্বান। সেইসঙ্গে সব ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং নাশকতা মোকাবিলা করে এই অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে দেশের জনগণ আরেক বার সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bba2218298, আমাদের সময়, ১১ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই হরতাল অবরোধ -সালমান এফ রহমান," বিএনপিকে নির্বাচনের আহ্বান জানানোর পরও তারা জ¦ালাওপোড়াও করছে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। গতকাল দুপুরে নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক সমাবেশে মতবিনিময়সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে অবৈধ হরতাল, অবরোধ দিচ্ছে। তারা জ্বালাওপোড়াও করে মানুষ হত্যা করছে। তাদের এ হরতাল ও অবরোধ জনগণ মানছে না। এখন বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করছে না। তাই তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে। তবে যে যাই করুক শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ঢাকা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য।তিনি বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা। একটি জাতিকে মানুষ করার জন্য শিক্ষকদের পরিশ্রম অপরিসীম। আপনারাই হচ্ছেন ভালো নাগরিক গড়ার কারিগর। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। পৃথিবীতে যেভাবে প্রযুক্তির মান বাড়ছে কাজেই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে হলে আমাদেরও তৈরি হতে হবে।এর আগে সকালে এমপি নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন উদ্বোধন করেন ও হাসপাতালে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন, ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম, সার্কেল এএসপি আশরাফুল আলম প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bba1c26225, আমাদের সময়, ১১ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে কটাক্ষ রাহুলের," ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দামি পোশাক পরা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গতকাল তিনি নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলেন, তিনি কেন লাখ টাকার স্যুট পরেন। রাহুল বলেন, ‘তিনি পরেন লাখ টাকার স্যুট, আর আমি সাদা টি-শার্ট।’ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।মধ্যপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন ১৭ নভেম্বর। আসন মোট ২৩০টি। সরকার গঠনের জন্য দরকার ১১৬ আসনে জয়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়ার আশা করছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। কিন্তু এই জোটের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে ২৮টি বিরোধী দল এ বছর ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যে ক’টি বিধানসভায় ভোট হবে, উভয়পক্ষই চাইবে এতে জয় নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় লড়াইয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকতে। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী জাতভিত্তিক জনশুমারির অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মোদি সরকার গরিবদের কথা ভুলে গেছে, তারা গরিবের টাকায় বড় বড় ব্যবসায়ীদের আরও লাভবান করাতে মরিয়া। কংগ্রেস সরকার এলে রাজ্যে শান্তি ও সুদিন ফিরবে বলে আশ^াস দেন তিনি। টাইমস ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস নেতা প্রিয়াংকা গান্ধীও নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন। মোদি অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি একটিমাত্র জাতেই বিশ্বাস করেন, তা হলো গরিব জাত। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bb556aaab, আমাদের সময়, ১০ নভেম্বর ২০২৩, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে: চরমোনাই পীর," সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন দেশকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পল্টনস্থ কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য কোনো নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সরকারের নির্দেশনায় সিইসি আরেকটা একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে দেশের মানুষ তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়।ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, মানুষ আর নীলনকশার নির্বাচন হতে দেবে না। দেশে সংঘাত-সহিংস পরিস্থিতিতে জনগণ ও দেশের অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কোনো সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করে একতরফা নির্বাচন দেশকে অশান্ত করে তুলবে।তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তৈরি না করে নির্বাচনের ঘোষণা বিদ্যমান সংকেট নতুন মাত্রা যোগ করবে।সভায় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শীঘ্রই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্রাহ আল-মাদানী, দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bb76ba7bf, আমাদের সময়, ১০ নভেম্বর ২০২৩," বিএনপির লক্ষ্য গণতন্ত্র নয়, নির্বাচন বানচাল করা: ওবায়দুল কাদের"," আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করছে। তাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র নয়, চোরাগোপ্তা হামলা করে শেখ হাসিনার পতন ও নির্বাচনকে বানচাল করা।শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলছে।’শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানান দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। ইতিমধ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।প্রতি বছরের ১০ই নভেম্বর বাংলাদেশে ""নূর হোসেন দিবস"" হিসেবে পালন করা হয়। এছাড়া তিনি যে স্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন, তাঁর নামানুসারে সেই জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন শহীদ নূর হোসেন। তার সেই মহৎ ত্যাগের দিন আজ শুক্রবার ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তার এই আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bb7d79ef71, আমাদের সময়, ১০ নভেম্বর ২০২৩, তলে তলে নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি," আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাড়ি দিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেশ কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিতে হবে। যেখানে বিরোধী কেউ প্রার্থী হবে না, সেখানে নিজেদের কাউকে দাঁড় করিয়ে হলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, তা বলার সময় আসেনি। তারা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এ জন্য সবাইকে ভোটারদের কাছে যেতে বলেন শেখ হাসিনা।গতকালের বৈঠকে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় শেখ হাসিনাকে। আর সদস্য সচিব করা হয় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। দলের কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও ১৪টি সাব-কমিটির বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।এদিকে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য আট বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়ছে বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠক শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়; শেষ হয় রাত ৯টার দিকে।সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বাকি চার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতিবেদন জমা দেননি।বৈঠকে দলের সভাপতিম-লীর সদস্য শাহাজান খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী চিনুসহ বেশ কয়েক বক্তব্য রাখেন।বৈঠকে উপস্থিত দলের দুজন নেতা জানান, গতকাল বৈঠক বিগত দিনের মতো ছিল না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিতণ্ডা বা বাহাস হয়নি। যে যার মতো করে দলের অবস্থান, বিএনপির আন্দোলন এবং তা মোকাবিলা করা নিয়ে কথা বলেছেন।কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, ময়মনসিংহ জেলা কমিটি গঠন নিয়ে কিছু বিরূপ অভিজ্ঞতার বিষয় উঠে এসেছে। ওই কমিটির সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করছেন গফরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য গোলন্দাজ বাবেল। বাবেলের বিষয়ে কথা বলেন ওই বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নেতা। এ ছাড়া মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে আত্মতুষ্টি প্রকাশ করেন।নেতাদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। মনোনয়ন দেওয়া হবে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন ও দলের সাংগঠনিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে।সম্প্রতি চট্টগ্রামের একজন ইউপি চেয়ারম্যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে নেতাকর্মীদের কথা না বলাই ভালো।’সভার পরে রাত ৯টার দিকে গণভবনের ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন ভ-ুলের চক্রান্ত যে কোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে বলে দলীয় প্রধান সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।কাদের বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন আমাদের সভাপতি। এখানে কো-চেয়ারম্যানের পদ আছে, সেটা এখনো পূরণ হয়নি। আমি পার্টির সেক্রেটারি হিসেবে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করব। এ ছাড়া আমাদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা কমিটি, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কমিটিতে থাকবেন।কাদের বলেন, আমাদের ১৪টি উপ-কমিটি নির্বাচনসংক্রান্ত। গতবারও ১৪টি ছিল। লোক হয়তো পরিবর্তন হবে। কমিটিতে থাকা কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বাভাবিক কারণে নতুন কিছু সংযোজন হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করব। এবার আমাদের মনোনয়ন ফরম যারা সংগ্রহ করবেন, আগে ত্রিশ হাজার টাকা ছিল, এবার তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। দলীয় মনোনয়ন কেউ চাইলে অনলাইনে বা পে-অর্ডার করেও সংগ্রহ ও জমা করতে পারবেন।পিটার হাসের বিষয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য করায় দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত অশোভন আক্রমণাত্মক যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দৃষ্টিতে এসেছে। এ জন্য চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bb489f26d, আমাদের সময়,০৯ নভেম্বর ২০২৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের ‘কারচুপির’ তদন্ত চান রওশন এরশাদ," সদ্য অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ওঠা অনিয়ম ও কারচুপির বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। আশা করি নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। তিনি ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাজাহান আলম পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন জিয়াউল হক মৃধা। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জাল ভোটের খবর এসেছে। পরে নির্বাচন কমিশন ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করেছে।উল্লেখ্য, জিয়াউল হক মৃধা রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত বছর রওশন এরশাদের পক্ষ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। তার করা মামলায় জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় চার মাস আদালতের নিষেধাজ্ঞায় দলীয় দায়িত্ব থেকে বিরত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018baec7b112, আমাদের সময়,০৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০১৮ নির্বাচনের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মেজর হাফিজ," ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা হয়েছিল বলে গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ৮০ আসন দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সমঝোতা হয়েছিল বলে শুনেছি। সেই ৮০ আসনের তালিকাতেও আমি ছিলাম না।’আজ বুধবার বনানীর নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপির এই নেতা।৬ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে আমি গুরুত্বহীন ব্যক্তি। তবে আমি কোনো নতুন দল করছি না।এমনকি বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।’অভিমানী হাফিজ বলেন, ১১টি আজগুবি অভিযোগে বিএনপি তাকে শোকজ করেছিল। ৩১ বছর দলটির রাজনীতি করার পর তার বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগ আনা হয়েছিল।মেজর হাফিজ বলেন, ২৩ বছর ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, আমার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছে, তারা এখন আমার চেয়ে ওপরের পদে।নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না উল্লেখ করে তিনি বিএনপিকে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন।নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মনোযোগ না দিয়ে বিকল্প পন্থা বের করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব। সেটা বিএনপি থেকেই অবসর নিতে চাই। চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশ যাব। হাফিজ মনে করেন, জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণে বিএনপির বর্তমান এই পরিণতি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018bad9a80ce, আমাদের সময়,০৮ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে যে পরামর্শ দিলেন মেজর হাফিজ," নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। এ সময় তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেন।মেজর হাফিজ বলেন, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন।আজ বুধবার সকালে বনানীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ।নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মনোযোগ না দিয়ে বিকল্প পন্থা বের করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব। সেটা বিএনপি থেকেই অবসর নিতে চাই। চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশ যাব। মেজর হাফিজ বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দৃষ্টিতে এসেছে। আমি কোনো দল খুলছি না। বেগম জিয়া আমার নেত্রী। তবে তার অনুপস্থিতিতে দল থেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গেই থাকব।’বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক নেই মন্তব্য করে দলের এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক, বিশেষ করে দলের চেয়ারপারসনের সামনে সত্যি কথা বলার মতো লোক আমার চোখে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন। তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। তাকে দুই-চার বার সত্যি কথা বলতে দেখেছি। এ ছাড়া কোনো নেতা ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা ছাড়া আর কোনো কিছু জানেন না।’তিনি বলেন, ‘আমি পদের জন্য রাজনীতি করি না। দলে আমার কোনো অবস্থান নেই। জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে বিএনপি এত বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে।’নিজেকে দেওয়া বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাকে ১১টি অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। বলা হয়, দলের নির্দেশ ছাড়া সরকারবিরোধী মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শওকত মাহমুদের সঙ্গে কোনো মিছিলে যোগ দেইনি। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ আগেও ছিল না, এখনো নেই। তারপরও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।’মেজর হাফিজ বলেন, ‘চিঠির জবাব দেওয়ার পর আমি জানি না, সে চিঠি গ্রহণ হয়েছে কিনা, না বাতিল হয়েছে। এমন আচরণ আমি ডিজার্ভ করি না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।’ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বিএনপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তাকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমি আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও আহ্বান জানাব দলের সংস্কার করুন। এখন যেভাবে চলে সেভাবে একটি রাজনৈতিক দল চলতে পারে না।’ ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018baad8d1f43, আমাদের সময়,০৮ নভেম্বর ২০২৩, দুই উপনির্বাচনের ফলের গেজেট স্থগিত," কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে লক্ষ্মীপুর-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলের গেজেট স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনের আগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান কমিশনারের (সিইসি) কক্ষে সচিবসহ অন্যান্য কমিশনার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। সিইসির কক্ষ থেকে বেরিয়ে ইসি সচিব জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখে অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছ ইসি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গেজেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।সংশোধিত আরপিও (৯১এএ) অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসার ফল ঘোষণার পরেও যদি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন অথবা যৌক্তিক তথ্য-উপাত্ত ইসির নজরে আসে, তা হলে ইসি ওই আসনের গেজেট প্রজ্ঞাপন স্থগিত রেখে অভিযোগটি আমলে নিতে পারেন।ইসি সচিব জানান, ‘গণমাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কেন্দ্রের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। সেটা ইসি বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।’গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে গোলাম ফারুক পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙলের রাকিব হোসেন পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট; গোলাপ ফুল নিয়ে সামছুল করিম খোকন পান ২ হাজার ১২৬ ভোট। ভোট শেষ হওয়ার আগেই রাকিব হোসেন ও শামছুল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।লক্ষ্মীপুর উপ-নির্বাচনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন।গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যিনি সিল মারেন, তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।গতকাল নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘আজাদ ছাত্রলীগের কেউ নন। ছাত্রশিবিরের লোক। শিবির করার অভিযোগেই তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।’নির্বাচন ভবনে আসার কারণ জানতে চাইলে পিংকু বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার তার পূর্বপরিচিত। এক সঙ্গে হজ নিয়ে কাজ করেছেন। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে জয় পান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম। তার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ba95ea678 , আমাদের সময়,"০৭ নভেম্বর ২০২৩,", লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত," সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচন দুটি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম।সচিব বলেন, ‘আইনে আছে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে, কমিশন গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। দুই আসনের ভোট নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ফল গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, স্থগিত রাখা হয়েছ।’গত রবিবার লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।ভোটগ্রহণের পরের দিন গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে কারচুপির অভিযোগ করেন। তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b94a0979b, আমাদের সময়,০৩ নভেম্বর ২০২৩," জাপা নির্বাচনে যাবে, এমন কথা বলেননি জি এম কাদের"," জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক হয়। এ বৈঠক নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, জাপা চেয়ারম্যান বলেছেন, তার দল ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে। তবে দলীয় চেয়ারম্যান এমন বক্তব্য দেননি বলে দাবি করেছে জাপা।আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কয়েকটি গণমাধ্যমের একটি সংবাদ দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। গেল ২ নভেম্বরের ওই সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন ‘‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে’’। প্রকৃত পক্ষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমন কোনো কথা বলেননি।’এতে বলা হয়, ‘সংবাদ পরিবেশনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত মাসরুর মওলার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাসরুর মওলা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এমন কথা বলেনি। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।’জাপা বলছে, ‘এমন বাস্তবতায় আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না- স্পর্শকাতর, ভুয়া ও মনগড়া সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ল কীভাবে? আমরা এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অনলাইন ভার্সন থেকে মিথ্যা সংবাদটি অপসারণ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b95228aa2, আমাদের সময়,০৩ নভেম্বর ২০২৩," বিএনপির নেতা কে, কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে"," বিএনপির নেতা কে এবং কোন নেতাকে নিয়ে তারা নির্বাচন করবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া), সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০১৮ নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।’তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপির যে অগ্নি-সন্ত্রাস, তাদের যে বীভৎস চেহারা, তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে, একজন নিরীহ পুলিশ চাকরি করে, তার কি অপরাধ ছিল? তাকে ওইভাবে, অমানবিকভাবে হত্যা করল। ২০১৩ সালে ঘটিয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৫ তে ঘটিয়েছে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনেও পোড়ানো, হাজার হাজার গাছ কেটে রাস্তা কেটে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করেছিল তখনই তারা থেমেছে। এখন আমি বলব সময় এসে গেছে, এই অগ্নি-সন্ত্রাসীরা যে যেখানে থাকুক, যারাই এভাবে আগুন দেবে, জনগণের ওপর অত্যাচার করবে, গাড়ি-বাস-ট্রাকে আগুন দেবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। কারও ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল আমাদের জাতীয় চার নেতাকে। কারাগার সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা, এই কারাগারই ঢুকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b958d5ce1, আমাদের সময়,০৩ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সেটি হবে আত্মঘাতী: দিলীপ বড়ুয়া," বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে মাঠের আন্দোলনে বিরোধী পক্ষ থাকবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু দিন শেষে সবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে সেটি হবে তাদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চলমান রাজনীতি ও আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল মিরসরাই উপজেলা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।সরকারকে উৎখাত করার মতো যে শক্তি বা সামর্থ্য এটি বিএনপির নেই উল্লেখ করে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এই যে বিএনপি এত লোকের সমাগম করল, কিন্তু দিনশেষে ফসল তাদের ঘরে তুলতে পারেনি। তাহলে এসব করে লাভ কী।’সম্প্রতি মালদ্বীপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এই তো সেদিন মালদ্বীপে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশেও অনুরূপভাবে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ এ নেতা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসন থেকে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা আমাদের মোশাররফ ভাই। যিনি মিরসরাই আসন থেকে সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি নিজেই নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অতএব, তিনি নির্বাচন না করলে সে ক্ষেত্রে আমি নিজেকে জোটের মনোনয়নের যোগ্য দাবিদার বলে মনে করছি।’মিরসরাই আসনে জোটের হয়ে সম্ভাব্য অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘রাজনীতিই আমার পেশা। এর বাইরে আমি কিছু করিনি। জীবনে এ পর্যায়ে এসে আমার নিজের এলাকা থেকে নির্বাচন করব, এটা আমার রাজনীতির প্রাপ্তি মনে করছি। আমি আশা করব, আমাদের জোট থেকে অপরাপর যেসব বন্ধু মনোনয়ন চাইছেন তারা সিনিয়র হিসেবে আমাকে সমর্থন করবেন।’সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া, মিরসরাই উপজেলা সাম্যবাদী দলের সভাপতি রণজিত বড়ুয়া প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b9647f63b11, আমাদের সময়,০৪ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে অংশ নেব এমন কথা বলিনি : জিএম কাদের," গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনে অংশ নেবে এমন কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষেজিএম কাদের বলেছেন, জাপা নির্বাচনে যাবে। প্রকৃতপক্ষে তিনি এমন কোনো কথা বলেননি। সংবাদ পরিবেশনে জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত মাসরুর মওলার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ মাসরুর মওলাও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এমন কথা বলেননি। আমরা এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অনলাইন ভার্সন থেকে মিথ্যা সংবাদটি অপসারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b821f5d9c15, আমাদের সময়, ৩১ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচন বানচাল করতে সংঘাতের পথে বিএনপি," আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিবিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো; আর এলো না, তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।’ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেওয়া নয়। নির্বাচন চাইলে তারা এমন সন্ত্রাস করত না। নৃশংসতা বিএনপির আসল রূপ। পুলিশ-সাংবাদিক কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়ক-নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু তাদের দলের মহাসচিব জেলে; এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবে কে? রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক ক্ষেত্রে থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ, আন্দোলনের নামে করেছে; যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।’মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b723a063c6, আমাদের সময়, ২৮ অক্টোবর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন জনগণ রুখে দেবে : ইসলামী আন্দোলন," সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করলে জনগণ রুখে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। এজন্য নির্বাচন কমিশনকেও একতরফা নির্বাচনের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গতকাল সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটি। সমাবেশগুলোতে নেতারা এ কথা বলেন।এদিকে কিছু জেলায় সমাবেশ করলেও মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ বলে অভিযোগ দলটির নেতাকর্মীদের। রংপুরের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে নেতারা বলেন, সরকারের অন্যায় কর্মকা-ে সহযোগিতা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। ক্ষমতার জন্য বিদেশি তাঁবেদারি করছে সরকার। দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।নেতারা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের মদদ ছাড়া ফিলিস্তিনে ইসরায়েল হামলা করার সাহস পেত না। দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনাসহ জনগণের ওপরে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিন গর্জে উঠেছে। এটা তাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম।অথচ পশ্চিমা গোষ্ঠী তাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b6d0572a24, আমাদের সময়, ২৭ অক্টোবর ২০২৩, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন বিশাল চ্যালেঞ্জ," ব্যাধিটা যখন মনে তখন? আত্মহত্যার প্রতিরোধে সহায়তা করে মানসিক শান্তি। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির পাশে পরিবার, বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক, মেসে বা হলের সিনিয়র, জুনিয়র সবাই তাকে বোঝাতে হবে?। কোনো মানসিক অবসাদ বিষণ্নতার ব্যক্তি দেখলে বোঝা যায় এবং তার সাম্প্রতিক আচরণ। তখন তার শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে কাছের বন্ধু বা তার পাশের কেউ তাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দিতে হবে, তার সমস্যার কথা শুনতে হবে। তার কথাগুলো ইতিবাচকভাবে তার কাছে তুলে ধরতে হবে। কারণ আত্মহত্যা করতে চাওয়া ব্যক্তি কিংবা মানসিক অবসাদ বিষণ্নতার ব্যক্তি এমনিতেই ভেতরে ভেতরে অনেক লজ্জিত, অপরাধী বা বিব্রতবোধ করেন। কোনো দোষ-ত্রুটি দিয়ে তার সমস্যাগুলোকে না ধরে সমর্থন দিয়ে তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি বেশিরভাগ একা থাকতে পছন্দ করে এবং বিষণ্নতার জীবনযাপন করতে থাকে। কারোর সঙ্গে কথা বলতে চায় না এমন অবস্থায় তার কাছে থাকা ব্যক্তি বুঝতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাশে থাকা মানুষগুলোর মানসিকভাবে সমর্থন করা উচিত, তাকে বোঝানো? উচিত আত্মহত্যা সব সমস্যার সমাধান নয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b6a80bcd8, আমাদের সময়, ২৬ অক্টোবর ২০২৩, এখনো নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশটুকু হয়ে ওঠেনি: সিইসি," নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো হয়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম সম্পাদকদের সঙ্গে এক কর্মশালার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোনো সংকট সৃষ্টি হলে তা নিরসনে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের প্রত্যাশা আয়োজক হিসেবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। প্রত্যাশা প্রথম থেকেই ছিল, কিন্তু এখনো নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশটুকু হয়ে ওঠেনি।’কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের বিষয়টা হচ্ছে, আন্তরিক যে পরিবেশ সেটা অনুকূল হয়ে উঠুক। এজন্য সবাইকে নিরন্তর আহ্বান করে যাচ্ছি, সংলাপ করেছি। যারা নির্বাচনে আসতে চান না তাদের আমার পক্ষ থেকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছি। কিন্তু সাড়া পাইনি।’রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল তাদের নিজস্ব ব্যাপার উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, ‘তাদের নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে। আমরা তার মধ্যে অনধিকার চর্চা করব না।’কর্মশালায় সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ba6ac64481, আমাদের সময়,০৭ নভেম্বর ২০২৩, দ্বন্দ্বে জড়ালেন নির্বাচন কমিশনাররা!," সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামতের প্রাধান্য নিয়ে একজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের দ্বন্দ্ব হয়েছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম আলাদাভাবে প্রত্যেক নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে যান বলে জানা গেছে। এ জন্য দুটি আসনের উপনির্বাচনে অবৈধভাবে সিল মারার অভিযোগের বিষয়ে গতকাল সোমবার সচিবসহ কোনো কমিশনারদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে গতকাল রাতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে ইসি। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।এদিকে গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথমে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের দপ্তরে গিয়ে বৈঠক করেন সচিব। এরপর যান নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. (অব) মো. আহসান হাবিব খানের দপ্তরে। সঙ্গে নেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দুই যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান ও মো. আবদুল বাতেনকে। এরপর সচিব, বেগম রাশেদা সুলতানার দপ্তরে গিয়ে বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়েই যান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের দপ্তরে। এরপর তিনি ফিরে আসেন নিজের দপ্তরে।কিছুক্ষণ পর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর কয়েক মিনিটের জন্য বৈঠক করেন মো. আহসান হাবিবের দপ্তরে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের দপ্তরে তিন কমিশনার গেলেও নিজ দপ্তরেই অবস্থান করেন মো. আনিছুর রহমান।ইসি সচিব ও কমিশনারদের দৌড়ঝাঁপের মধ্যে সাংবাদিকরা বারবার তাদের কাছে যান। উপনির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাইলে সচিব মো. জাহাংগীর আলম ‘আজকে না’ বলে বারবার পাশ কাটিয়ে যান। এর মাঝেই সাংবাদিকদের চোখ এড়িয়ে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে দ্রুত নির্বাচন ভবন ত্যাগ করেন সিইসি। পরে সচিবসহ একে একে অন্য কমিশনাররাও চলে যান।ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবমূল্যায়িত হওয়ার কারণে অনেকটা একলা চলো নীতিতে অবস্থান নেন। তাই সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে দ্বন্দ্ব নিরসনেই চলে দিনভর খ- খ- বৈঠক। সূত্রমতে, মূলত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে এই দ্বন্দ্ব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ba4d6843a, আমাদের সময়,০৬ নভেম্বর ২০২৩, তওবা পড়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বললেন নানক," তওবা পড়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ সোমবার রাজধানীর শ্যামলী ক্লাবের সামনে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।বিএনপির উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশের মানুষের ক্ষতি করার লক্ষ্যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবেন না। মানুষের গায়ে হাত দেবেন না, আগুন-সন্ত্রাস করবেন না, দেশি-বিদেশি সড়যন্ত্র করবেন না- এই মর্মে তওবা পড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের পথে আসা উচিত।’আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপির অবরোধ মানেই মানুষকে অবরুদ্ধ রাখার অবরোধ, কিন্তু জনগণ ঘৃণা দিয়ে তাদের অবরোধকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্দোলনের নামে তারা সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে চায়। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে পুলিশ মেরেছে, দায়িত্বরত সাংবাদিকদের আহত করেছে, হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে। তাই দেশের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘জনগণের এই প্রত্যাখ্যান থেকে বিএনপির শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তাদের নেতাদের তওবা পড়া উচিত।’নানক বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে। যে হাত দিয়ে জনগণের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, সে হাত গুড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থেকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।’দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে গেছে। তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তি, সমৃদ্ধি, সম্প্রতি ও উন্নয়ন চায়। এদেশের জনগণই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনার মার্কা নৌকার পক্ষে রায় দেবে।’এ সময় তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের সামনে ও বিজয় স্মরণি মোড়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে জমায়েতের আহ্বান জানান।এর আগে বিএনপি জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচির প্রতিবাদে ঢাকা-১৩ আসনের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল সিদ্দিক তুহিন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলসহ ঢাকা-১৩ আসনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b9bf82cc715, আমাদের সময়,০৫ নভেম্বর ২০২৩, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে এক হয়েছে," বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে এক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। গতকাল বিকালে বিএনপি, জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা, স্বামীপরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে জনগণের অভাব দূর করেছেন। দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন। তথাকথিত জামায়াতের নির্বাচন বানচালের জিকির বন্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আগামী ১২ বা ১৪ তারিখে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি এই নির্বাচনে অগ্নিসন্ত্রাসীরা যেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না করতে পারে সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b9f839371, আমাদের সময়,০৫ নভেম্বর ২০২৩, নির্বাচনের দুই বছর পর ভোট পুনর্গণনায় ৭ ভোটে জয়ী," পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রায় দুই বছর পর ভোট পুনর্গণনা হয়েছে। এতে ১ ভোটে বিজয়ী সদস্য ৭ ভোট বেশি পেয়ে পুনরায় জয়লাভ করেছেন। এক মামলার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী জজ সুব্রত মল্লিকের আদালতে ভোট গণনা হয়।আজ রবিবার আদালতে ভোট পুনর্গণনা করা হয়। এ সময় আদালতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উপস্থিত ছিলেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর ইন্দুরকানী সদর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মোরগ প্রতীক নিয়ে ১ ভোট বেশি পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন আকন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ও গেজেট হলে পরের বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের বিশেষ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন। সেই মামলায় ভোট পুনর্গণনায় জাকিরের মোরগ মার্কার ৪৩৭ ও জাহাঙ্গীরের ফুটবল মার্কার ৪৩০ ভোট পাওয়া যায়।ইউপি সদস্য জাকির বলেন, ‘আমি বিজয়ী হয়ে শপথ পড়েছি, পরিষদের দায়িত্বও পালন করছি। আমাকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে পরাজিত প্রার্থী অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি করেছেন।’পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, নির্বাচনের দিন ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছিল বলে সন্দেহ করায় পুনর্গণনার জন্য মামলা করেছিলাম।এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b049cb065, আমাদের সময়,০৬ অক্টোবর ২০২৩," ‘যারা ভোট চুরি করেছে, তাদের কাছে শুনতে হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা’"," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা করেছি এবং সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের নানান দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। তো আমরা সেটাই মেনে চলি। আর নির্বাচনের ব্যাপারে আসলে আমাদের নিজেদেরও একটা দোষ আছে। যে আমরা নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি কথা বলি, আমাদের দেশের কিছু লোক... । এখন যারা নির্বাচন বয়কট করেছে অথবা নির্বাচনকে সবসময় কলুষিত করেছে বা ভোট চুরি-ডাকাতি করেছে। এখন তাদের কাছ থেকেই শুনতে হয় অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো সেটাই।তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। সেইসময় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে যাদের এতো উদ্বেগ দেখিনি। অথচ সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলো। সেই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় ঐক্যজোট মিলে পেয়েছিল মাত্র ২৯টা সিট। পরে আবার একটা সিট পেয়েছে, সবমিলিয়ে মোট ৩০টা সিট। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে তারা অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, এমন কোনো অপকর্ম নেই তারা করেনি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে যোগদান করে ৩০০ আসনে ৭০০ জনের উপরে লোককে নমিনেশন দিয়ে নিজেরাই মারামারি করে নির্বাচন থেকে সরে গেল। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করলো। এখন তাদের মুখে আবার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনি, সব জায়গায় তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যখন আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন আমার প্রশ্ন হলো, যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ছিল, যখন আমরা সংগ্রাম করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। আমারা স্লোগান দিয়েছি, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018afad35f87, আমাদের সময়,০৪ অক্টোবর ২০২৩, দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নেই," আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি দিল্লিও আছে? কী বুঝাতে চাইছেন? দিল্লিকে আপনাদের জানিয়েছে যে এভাবে অপকর্ম করতে থাকো? দিল্লি কি বলে দিয়েছে দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করেই নির্বাচন ঘোষণা করে দাও? তাহলে পরিষ্কার করে বলেন?’আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) পেশাজীবী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কনভেনশনে ২২টি পেশাজীবী সংগঠন যোগ দেয়।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এত বেশি পা চাটা হয়ে গেছে যে, তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন ভয় নাই, ও রে ভয় নাই। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। তাহলে স্বীকার করলেন এত দিনে আপস ছিল না। আসলে আপনাদের মতো এত বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না। এর আগে তাদের পররাষ্টমন্ত্রী বলেছিল, আলোচনা হয়েছে। আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। বলেছে বৈঠক হয়েছে। আসলে কোনো বৈঠকও হয়নি। ছবি তোলার জন্য কত লবিং করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রং হেডেড পারসন (শেখ হাসিনা) অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়, তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি, ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের অধীনের নির্বাচন কখনো বৈধতা দেওয়া হবে না।’লন্ডনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তার কথা এত কুরুচিপূর্ণ, যা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকটি সত্য কথা বলে দিয়েছেন। তা হলো- এদেশে যা কিছু ঘটে তা শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ঘটে। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তা প্রমাণিত হয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে, এদেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হলো সিদ্ধান্ত। এখন শেখ হাসিনা নিজেকে নিজে সম্রাট ঘোষণা দিলে পারেন।’বিএনপি মহাসটিব বলেন, ‘বিএনপি দুই বছর ধরে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। এবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেউ আঘাত করলে বিএনপি প্রত্যাঘাত করবে না এমনটা নয়।’পেশাজীবী কনভেনশনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরৈ) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018af1e260b510, আমাদের সময়,০৩ অক্টোবর ২০২৩, বাজেট বাস্তবায়নে ‘নির্বাচনী’ চ্যালেঞ্জ," চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার সময় পাচ্ছে ছয় মাস (জুন-ডিসেম্বর)। পরের ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন) বাস্তবায়ন করবে নতুন সরকার। অনেকে বলছেন, জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন থাকায় আগামী কয়েক মাস রাজনীতির মাঠ সরগরম থাকবে। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে তা বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে; কারণ উচ্চমূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া কিংবা বাণিজ্যঘাটতির মতো নানা ইস্যু দেশের অর্থনীতিকে ইতোমধ্যে ‘নাজুক অবস্থার’ মধ্য ঠেলে দিয়েছে। অবশ্য নির্বাচনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।বাজেট বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত একাধিক কর্মকর্তার আশঙ্কা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো রকম রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। এ জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আর্থিক সংকটের কারণে যেন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘিœত হয়, সে দিকে দৃষ্টি রাখতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দুই মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা কম। গত অর্থবছরে একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে অর্থ খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।বিদায়ী (২০২২-২৩) অর্থবছরে ৮৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে সরকার। প্রতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাস এডিপি বাস্তবায়নের গতি সাধারণত মন্থরই থাকে। পরবর্তী সময়ে তা বাড়ে। এমনকি শেষ তিন মাসে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন দেখানো হয়। কিন্তু সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় এবার আগেই বাজেট বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকতে চায় সরকার।চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৩৯২টি। পুরনো প্রকল্প বেশি। বড় বড় প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা রেলসংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সম্পদ জোগানের চাপ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ সামলে এনবিআর শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় ঘাটতি হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা। এই সময়ে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৫০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা।অন্যদিকে এবার বাংলাদেশের পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে বৈশ্বিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ফিচ রেটিং। সম্প্রতি নতুন পূর্বাভাসে সংস্থাটি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক করেছে। ফিচ রেটিং বাংলাদেশের আইডিআরকে ‘বিবি মাইনাস’ বলে নিশ্চিত করেছে।আইডিআর স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক হওয়ার অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, তবে বাংলাদেশ এখনো তার ঋণের দায় মেটাতে বা বাধ্যবাধকতা পূরণে সক্ষম। এ ছাড়া সরকারে ঋণও সম পর্যায়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও ভালো; কিন্তু রাজস্ব-জিডিপির নিম্ন অনুপাত, নিম্ন মাথাপিছু আয়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা ও সুশাসনের ঘাটতির কারণে ভালো দিকগুলো ফিকে হয়ে যায়। এক বছর আগে ফিচ বলেছিল, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান স্থিতিশীল।ফিচ রেটিং নতুন পূর্বাভাসে বলেছে, নেতিবাচক পূর্বাভাসের অর্থ হলো, অর্থনীতির বহিস্থ খাতের অবনতি; যে কারণে ধাক্কা এলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, যেমন মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি পরিবর্তন, ঋণদাতাদের সহায়তা নেওয়াÑ এসব করেও বিদেশি মুদ্রার মজুদের পতন ঠেকানো যায়নি বা বাজারে ডলারের সংকট মেটানো যায়নি। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলেও সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি।এসব বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকটের ফল সবার ওপরে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি জীবনযাপনকে কঠিন করে তুলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখানোর জন্য ব্যবসায়ীদের জোর করে আমদানি কমাতে বলা হচ্ছে। এতে করে তো উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ম্যান্ডেট ছিল মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার। সে ব্যাপারে তাদের কোনো কার্যকারিতাই দেখা যায়নি। সমস্যা সমাধানে তো অনেকদিন সময় পাওয়া গেছে। তারপরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, সংকটগুলো অভ্যন্তরীণভাবে সৃষ্টি হয়েছে। সংকটের গোড়ায় রয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা।’পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আমাদের সময়কে বলেন, ‘এখন যে চা",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018af1e25e643, আমাদের সময়,০৩ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়বে," জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বৈশ্বিক আঘাতে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। গতকাল জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটিরসদস্য এসএম আনসার উদ্দিনের শোকসভায় ভার্চুয়ালি তিনি এ কথা বলেন।রব বলেন, ভোটারবিহীন ক্ষমতাদখলের খেসারত হিসেবে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান আইনগতভাবে ও নৈতিকভাবে ধসে পড়েছে। রাষ্ট্র একটি লুটপাটের কারখানায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যমান বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার অপকৌশল হবে সরকার এবং দেশের জন্য আত্মঘাতী। ক্ষমতাসীন দল তার স্বার্থরক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তাকে চরম ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া ররের সভাপতিত্বে শোকসভায় অংশগ্রহণ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট কেএম জাবির, একেএম মিজানুর রশিদ চৌধুরী প্রমুখ। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018aef0ec6c2, আমাদের সময়,০২ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচনকে ঘিরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ," নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান।আজ সোমবার ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার একথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া যেসব অপরাধী জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে, তাদের কঠোর মনিটরিংয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বা বড়, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’তিনি বলেন, ‘থানায় এসে কেউ যেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে না যান সেজন্য সব পুলিশ সদস্যদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এ ছাড়া ডিএমপির আওতাধীন থানাগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর জন্য ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে। ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে সেবা না পেলে কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। পাশাপাশি ডিবিতে গিয়েও সেবা না পেলে সরাসরি জানাতে পারবেন।’ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। নতুন ধরনের ক্রাইমের অভিযোগ আসছে ডিএমপিতে। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি।’এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b5e8071d12, আমাদের সময়,২৪ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, শুধু বিনিয়োগকারীরাই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও অস্থিরতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। জনগণ চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) বিল ২০২৩’ সালের ওপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোকাব্বির খান এসব কথা বলেন। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পর দোষারোপের দিকে ইঙ্গিত করে গণফোরামের এই সংসদ সদস্য বলেন, কথায় আছে- তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেন? সুতরাং অতীতকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। আমার করণীয় আমি করার চেষ্টা করি। মুক্তিযুদ্ধের মতো এখন আবার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য তৈরি হতে পারে। তাতে অর্থনীতির চাকা সচল হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। দেশ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সচল হবে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে মোকাব্বির খান বলেন, বলা হয়েছিল- আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিষেবা রপ্তানি করা যাবে। কিন্তু সেটি আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাচ্ছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b5b75bd57, আমাদের সময়,২৩ অক্টোবর ২০২৩, ‘খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’," বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের সর্বশেষ রায় অনুযায়ী, দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্ট গতকালকের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই। এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া, হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ, তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল সেটা ভিন্নকথা।’এর আগের দিন গতকাল রবিবার একটি রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অযোগ্য। জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি তার সাজা উপযুক্ত আদালতে বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নন। একমাত্র উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির পাঁচ নেতার আলাদা আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর সংক্ষিপ্ত এ রায় ঘোষণা করেছিলেন। পাঁচ বছর পর সম্প্রতি দুই বিচারপতির সই শেষে ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রবিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b5bbf178a, আমাদের সময়,২৩ অক্টোবর ২০২৩, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে আ. লীগ’," নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা বলেন, সংবিধানের বাইরেযাওয়া যাবে না। কেন? ১৯৯৫-৯৬ সালে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেননি? ধ্বংসযজ্ঞ চালাননি? আপনারা যেতে পারেন, তাহলে কেন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি যেতে পারবে না? এ কথা শুনলেই আওয়ামী লীগের নেতারা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।’ আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী আরও বলেন, ‘সংবিধান তো মানুষের কল্যাণের জন্য। সংবিধানে বিধান আছে অনুচ্ছেদ আছে, তাহলে হবে না কেন? আসলে এই জন্যই হবে না, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত টাকা বানানোর যে সুযোগ করে দিয়েছেন, ধনী করার সুযোগ দিয়েছেন সেগুলো কিসের টাকা। এ টাকা তো কুইকরেন্টালের টাকা, পদ্মাসেতুর টাকা, ব্যাংক লুটপাটের টাকা। এগুলো অবাধে পাচার করেছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন।’প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনার লোকজন এবং পছন্দের অফিসাররা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে-অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে না, যেভাবে চলছে চলুক।’হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘জবরদস্তি করে, জবরদখল করে বারবার ভোটাদের কোণঠাসা করে একতরফা নির্বাচন করবেন, গ্রামে গ্রামে মাইকিং করবেন ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না- এভাবে আর চলবে না। নিজের ভোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ এখন সাহসের প্রতীক। বুলেট, লাঠিচার্জ, টিয়াগ্যাস, বিষাক্তগ্যাসে মানুষকে আর কাঁদাতে পারবে না। সব কিছু ধারন করে মানুষ প্রতিহত করবে এই সরকারের সমোস্ত অনাচার, অত্যাচার এবং নিপীড়ন।’রিজভী বলেন, ‘অব্যাহতভাবে নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনূস মিধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ, আন্দোলনের মাঠে যারা নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদের বাছাই করে ধরা হচ্ছে।’এ সময় গত কয়েকদিনে সারাদেশের হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক আসজাদুল আরিশ ডল, দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবলু, কামরাঙ্গীচর থানার বিএনপি নেতা আকরাম, আনোয়ার হোসেন, চকবাজার থানার মাইদুল, আমীর হোসেন, ডেমরার ওয়ার্ড যুবদলের শরীফ, শাহজাহানপুরের ওয়ার্ড বিএনপি নেতা পিন্টু, হলুদ মিয়া, বিল্লাল হোসেন, এলিম হোসেন, খিলগাঁওয়ের সালেহ মোহাম্মদ খোকন, ইলিয়াস আলী, নাজিম উদ্দীন, ইব্রাহিম হকি, মতিঝিলের বকুল মিয়া, বংশালের কসাটুলি, জাবেদ, জাহাঙ্গীর, হাজারীবাগের হারুন, ভাগলপুরের মাসুদ রানা, আলমগীর হোসেন, সবুজবাগের নুরুজ্জামান, বাড্ডার কৃষকদলের কাজী তুষার, ইকবাল হোসেন, গুলশানের দেলোয়ার হোসেন খান, তেজগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান মনির, মোহাম্মদপুরের মান্নান হোসেন শাহীন, আদাবরের আজিজ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।কদমতলীর স্বেচ্ছাসেবক দলের নিজাম হাওলাদার, সায়েম হোসেন, মকবুল হোসেন আল-আমিন হীরা একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রিজভী।এছাড়া আরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তুরাগের বিএনপি নেতা রিপন ইসলাম, মনির, উত্তরার সিদ্দিক, মিজান, কামাল হোসেন, সুমন, হৃদয়, মাহবুব আলম, মহসিন হাওলাদার ও জসিম উদ্দিনসহ মোট ১১ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে।রাজধানী ঢাকার বাইরের জেলা নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদার উল্লাহ ভূইয়া, শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন চৌধুরী সুমন, বিএনপি নেতা মো. আলী, সজিব ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম দোলন, রুবেল মিয়া, মুজাহিদুল ইসলাম পিয়াস, আল-মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের শ্রমিক দলের মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও রুহুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়িতে পুলিশ প্রশাসন নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় লৌহজং উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, সায়মন মাতুব্বর, সাইফুল মাতুব্বর, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার যুবদলের সাবেক সভাপতি পিন্টু, সদস্য মিজান, বেপারী মিজান ও মিজান বেপারী, নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁও পৌর বিএনপির মো. হুমায়ুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।গত ২৮ জুলাই থেকে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩শ ৯৫টি মামলায় ২৬ হাজার ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৫ জকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গত ১৮ অক্টোবর থেকে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৯টি গায়েবি মামলায় ১২ হাজার ৯৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬শ ২০ জনের অধীক নেতাকর্মকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাবনা জেলা সাথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলে সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিঠুকে গ্রেপ্তার করে গত ২২ অক্টোবর বোমা ও অস্ত্র হাতে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশের টেকনিক। আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে বোমা ও অস্ত্র হাতে দিয়ে তা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয় এবং গ্রেপ্তার দেখায়। আমি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর আহবান জানাচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b5679afee, আমাদের সময়,২২ অক্টোবর ২০২৩," নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন, মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন"," মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ ও সড়কে নিরাপত্তায় আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান বহাল রেখেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। পছন্দ না হলে কারও জন্য আটকে থাকবে না। আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দিবে। মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন বলে বিএনপিকে জানান ওবায়দুল কাদের।২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অবরোধ আর দখলের হুমকি দিয়ে বিএনপির খায়েশ পূরণ হবে না। জ্বালাও, পোড়াওয়ের হুমকি আসছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একজনই আছেন- তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, নিরাপদ সড়ক চাই- এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এর আগে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।‘আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে সারাদেশে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৩। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b4c778fd3, আমাদের সময়,২০ অক্টোবর ২০২৩," নির্বাচন পরিচালনায় ডিসি, এসপিদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে: ফখরুল"," বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, লাউ, শাক কিনতে পারছে না। কিন্তু ইলেকশনে গুন্ডা, ইউএনও, ডিসিদের জন্য ৬৫ কোটি টাকার গাড়ি দিচ্ছে। তাদের আলাদা করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ডিসি, এসপি যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে।’আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।‘সরকার পতনের আর কয়েকটা দিন আছে’ এমন মন্তব্য করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কয়েকটা দিন আছে। এখন কিন্তু মাসও নেই। সেই দিনগুলোতে বুকের মধ্যে সমস্ত সাহস নিয়ে...মারবে তো মারবেই। মারছেই তো। এই ১৫ বছরে আমার হাজারো নেতাকর্মী মেরে ফেলেছে। গুম করেছে। আমাদের ৫০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে গতকালও ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’তিনি বলেন, ‘আর কোনো কথা নয়, কথা নয়। আসুন আজকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে একটা জিনিস কিন্তু আশা, সাহস জোগাবে, আজকে দেশের সব মানুষ এক হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। বাম-ডান সবাই একটা কথাই বলছে, এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হতে পারে না।’বিএনপি সন্ত্রাসী দল প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন নতুন সুর শুরু করেছেন বিএনপি সন্ত্রাসী দল। গতকালও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আপনারা কি? আপনারা তো সন্ত্রাসের বাবা।’ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে, সেমিনারে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।’গত ১৫ বছরে এই দেশকে লুটের রাজ্য বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা বর্ণনা করার ভাষা নেই যে কি হারে এরা (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ) লুট করেছে। যে লুটের পরিণতি মানুষের ওপর পড়ছে। প্রতিটি পয়সা আমাদের পকেট থেকে নিয়ে নিচ্ছে।ঋণ করেছে। তার ভারও আমাদের ওপর এসে পড়বে।’এই পরিস্থিতির উত্তরণে বর্তমান সরকারকে সরানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণের নূন্যতম অধিকার ফেরত পেতে চাই। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্নীতি লুটপাট মগের মুল্লুক এই প্রক্রিয়ায় সবাই জড়িত হয়ে গেছে। সেই মগের মুল্লুক থেকে তো এরা সহজে বের হতে চায় না।’আমাদের কাছে বন্দুক নেই, সবাইক বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তো উপায় নেই, আমরা খালি হাতে আছি। আমাদের হাতে তো বন্দুক পিস্তল নেই যে আপনাকে ভয় দেখাবো, গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসবো। আপনাকে আমি ডিবিতে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন করবো। সেই ক্ষমতা তো আমার নেই।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমার একটাই ক্ষমতা আছে। মানুষকে সংগঠিত করা, মানুষকে বলা এই অবস্থা থেকে বেরোতে চাইলে মুক্তি পেতে চাইলে কোনো উপায় নেই রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে। এই রাস্তায় বেরিয়ে আসাই তো বড় কথা। আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় কি করছে। তার পরে যা হোক। আপনাকেও রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে।’বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা বানিয়েছে। এটার তো কোনো কিছু ঠিক নেই। তারা বলছে যদি পরিবেশ অনুকূলে হয়... তাহলে পরিবেশ অনুকূলে নয়! এখনো পরিবেশ অনুকূলে হয়নি। দরকার কি বাবা, পদত্যাগ করো না, আসো আমাদের সঙ্গে। আমাদের সঙ্গে আসো।’বিএনপির মহাসচিব শেষবারের মতো সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘শেষ বারের মতো সরকারকে বলতে চাই দয়া করে পদত্যাগ করুন। মানে মানে শান্তিতে আপনারা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারে হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যান। দেশের মানুষকে বাঁচতে দেন।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুঃশাসন করছে। লুটপাট আর অর্থপাচার করছে। একজন এমপি ৬৮২ কোটি টাকা ডিল করেছেন। এ নিয়ে দুদক বা কেউ কিছু ব্যবস্থা নেয়নি।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। এর পরিবর্তন চাই। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরে যাক। সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরি এস এ ইসলাম ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি: সরকারের অব্যবস্থাপনা-কৃষক এবং জনগণের নাভিশ্বাস’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সোনালী দল, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সোনালী দলের সভাপতি অধ্যাপক গোলম হাফিজ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b43ea464f9, আমাদের সময়,১৯ অক্টোবর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে -সালমান এফ রহমান," প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি নানাভাবে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে। আমরা তাদের নির্বাচনে আসার জন্য আহ্বান করছি, কিন্তু তারা না আসার পাঁয়তারা করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসেন মুসলিম লীগের মতো হারিয়ে যাবেন। মুসলিম লীগের মতো আপনাদের অস্তিত্ব কেউ আর খুঁজে পাবে না। গতকাল বিকালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণঅধিদপ্তর আয়োজিত কৃষক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশকে যেভাবে উঁচু মর্যাদায় নিয়ে গেছে আজ আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ রোল মডেল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের মতো এখন আর খাদ্যের জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে হয় না। তাই এখন বিদেশে সবুজ পাসপোর্ট দেখলে আমাদের অনেক সম্মান করে।এর আগে সকালে দোহার উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক মহাসমাবেশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের সাথে মহাসম্মেলন অংশ নেন তিনি।মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সালমান এফ রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা হলেন রণাঙ্গনের যোদ্ধা। আপনাদের জন্য বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা স্বাধীন করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বিদেশ যেতাম আমাদের সবুজ পাসপোর্ট দেখেই ইমিগ্রেশন অফিসার বলে দিতেন তোমরা শেখ মুজিবের দেশের লোক। তখন আমাদের অনেক অহংকার হতো। কিন্তু ’৭৫-এর পর যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন তারাই আমাদের ধিক্কার দিয়ে বলত যে দেশ পিতাকে খুন করতে পারে তারা অনেক ভয়ংকর।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের যাদের টাকা আছে তারা সবাই কৃষিতে বিনিয়োগ করবেন। কারণ কৃষি আপনাদের শান্তি দেবে, স্বস্তি দেবে। তিনি আরও বলেন, প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কোনো জমি অনাবাদি রাখতে নিষেধ করেছেন। তাই আসুন আমরা সবাই কৃষিকে গুরুত্ব দেই।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b48f97a5a6 , আমাদের সময়,২০ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে বিবাদ," দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূল রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ বিবাদ বাড়ছে। নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেষারেষি ও ক্ষোভ। অনেক ক্ষেত্রেই তা মারামারি, বাড়িঘর ভাঙচুর ও খুনখারাবি পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এর ফলে অনেক শাখায় আটকে আছে কমিটি গঠনের কাজও। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করতে গেলে বাধা হয়ে দাঁড়াছেন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো নেতা কিংবা তার অনুসারীরা। এর মধ্যে শরীয়তপুর ও নেত্রকোনায় পঞ্চাশের অধিক নেতাকর্মীকে লাইভ অনুষ্ঠান করে দল ত্যাগ করতেও দেখা গেছে। কাউকে কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে মামলার জালেও।নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি ‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবিলায় দলীয় হাইকমান্ডকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ক্ষোভ, দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ত্যাগী নেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করছে। তাদের ভাষ্য, দলের এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিরোধী পক্ষ সহজেই আঘাত করার সুযোগ পাবে। তবে এটিকে দ্বন্দ্ব হিসেবে না ভেবে প্রতিযোগিতা বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন ‘নৌকা যার আমরা তার’ এই স্লোগানে সবাইকে কাজ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার ভাষ্য, নির্বাচন এলে অনেকেই মনোয়ন চান। এই মনোনয়ন ঘিরে মতবিরোধ হয়। তবে দল মনোনয়ন ঘোষণা করে দিলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন স্থানীয় নেতারা। ঢাকা বিভাগের একজন নেতা আমাদের সময়কে বলেন, এবারের দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অনেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কমিটিতে কঠিন বলয় সৃষ্টি করেছেন। টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকায় তারা কাউকে তেমন তোয়াক্কা করছেন না। জনসম্পৃক্ততা না থাকলেও মনোনয়ন আদায় করতে পারলেই আবার এমপি হবেন এমন প্রত্যাশায় রয়েছেন তারা। মনোনয়ন তাদের বিপরীতে গেলে বিরোধী পক্ষের চেয়ে এসব নেতাই দলীয় প্রার্থীদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবেন এমনঅভিযোগ ঢাকা বিভাগের এই নেতার। রাজনৈতিক দলের সংঘাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত জরিপ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। রাজনৈতিক বিষয়ে সর্বশেষ আগস্ট মাসে প্রকাশিত তাদের জরিপের ফলে দেখা গেছে, অন্য দলের সঙ্গে সংঘাতের চেয়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই বেশি প্রাণ ঝরেছে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগে ৫৭টি সংঘাত হয়েছে। এসব সংঘাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৯৪ জন। জরিপের ফলে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে ৪টি সংঘাত হয়েছে। এতে ১৭ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে একটি সংঘাতে ২ জন আহত হয়েছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগে ৪টি হামলা পাল্টাহামলার ঘটনায় দুজন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছে। যুবলীগ ও যুবলীগের একটি সংঘাতে ৮ জন আহত হয়েছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ১২টি দ্বন্দ্বে ১১২ জন আহত হয়েছে।এর পর গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও এই দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।কোন্দলের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায়। এখানে জনসংযোগ করতে গেলেই স্থানীয় এমপি নুরুননবী চৌধুরী শাওনের অনুসারীদের বাধার মুখে পড়তে দেখা গেছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। ফাঁসানো হচ্ছে মামলার জালেও। গত জুন মাসের ২৫ তারিখ দিনভর হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও লালমোহন তজিমুদ্দিন সংসদীয় আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের অনুসারীরা। শারীরিকভাবে আহত করা হয় কয়েকজনকে। গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারের চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারে ফের সংঘাত হয়।অভিযোগের বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময়কে নুরুননবী চৌধুরী শাওন বলেন, ‘আমি কাউকে বাধা দিতে যাব কেন? কারও যদি লোক থাকে, জনভিত্তি থাকে, তাহলে যাক। এতে আমার তো কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু অনেককে দেখছি ঢাকায় বসে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মনোনয়ন চাচ্ছেন। এলাকায় তাদের লোক না থাকলে এলাকায় যাবেন কীভাবে? আমি তিনবার এমপি হয়েছি। আমাদের শিকড় অনেক গভীরে।’মামলা দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হয়রানি করার অভিযোগ প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘আমি কাউকে মামলা দিইনি, বাধাও দেয়নি। কেউ যদি মাদক বিক্রি করে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, অন্যায় করে, তাহলে তো মানুষ মামলা করবেই।’জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাসেম সরদার ৪০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করে বিএনপিতে যোগদান করেন। তার অভিযোগ, ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে জেল-জুলুম সহ্য করলেও এর মূল্যায়ন পাননি। তার আশপাশের ত্যাগী নেতারাও দলীয় পদ ও মনোনয়নবঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও শরীয়তপুরের রাজনীতিতে কোন্দল ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশায় জনসংযোগকালে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল শামীমকে প্রকাশ্যে ধাওয়া করতেও দেখা গেছে।অন্যদিকে নেত্রকোনার একটি উপজেলায় ৩৮ নেতাকর্মী লাইভ অনুষ্ঠান করে দল ত্যাগ করেছেন। এর কারণ হিসেবে তারা স্থানীয় নেতৃত্বের কোন্দলকে দায়ী করেছেন। ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে নামলে বা সভা-সমাবেশ করতে গেলেই ঘটছে বিপত্তি।অক্টোবরের প্রথম দিনে চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রেদওয়ান খান বোরহান ডিবিসি টিলিভিশনে লাইভ দেওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাকে এবং তার অনুসারী অন্তত ২০ জনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি। সংবাদ সম্মেলনে রেদওয়ান খান বোরহান অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা ‘বহুল বিতর্কিত’ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান নিজে তার বাহিনী নিয়ে এসে হামলা করে। স্থানীয় এক সাংবাদিক এই ঘটনার ভিডিও করতে গেলে তাকে প্রহার করাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, সেলিম খান আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারী।ভালুকার সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনুর বিরুদ্ধে নিজস্ব বলয় তৈরি করে রাজনীতি করার অভিযোগ আছে। নিজ দলের নেতাকর্মীদের মামলায় ফাঁসানোসহ নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দলের কেন্দ্রে পাঠানো একটি চিঠিতে। এতে উল্লেখ করা হয়, এমপি ধনু তার অনুসারীদের দিয়ে করানো মামলায় ময়মনসিংহের ভালুকায় মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিনের ছোট ভাই সালাউদ্দিন সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে মো. মহিউদ্দিন সরকারের ছোট ভাইকে। যদিও কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু আমাদের সময়কে বলেন, এর সত্যতা নাই। তিনি বলেন, ‘আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করেছি এর একটা নজির কেউ দেখাতে পারবে না।’ঝালকাটির রাজাপুর কাঠালিয়ার সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে দলের কেন্দ্রে। ওই আসনের ২৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষর করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে চিঠি পাঠান। এতে উল্লেখ করা হয়, এমপি বিএইচ হারুন করোনাকালেও সে অর্থে মানুষের পাশে দাঁড়াননি। এখনো সেভাবে তাকে দেখা যায় না। তবে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কিংবা সরকারি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয় এমন অভিযোগ উল্লেখ করা হয় এই চিঠিতে। এর সত্যতা জানতে বিএইচ হারুনের ফোন নম্বরে টানা দুদিন কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। দলীয় কোন্দলের জের ধরে ঢাকা-১৪ আসনে শাহ আলম নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে মিরপুর এলাকায় বইছে ক্ষোভ। যেকোনো সময় আরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসি দাবি করে তার ছবি সংবলিত পোস্টার সাঁটাতে দেখা গেছে।১৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে হাবিবুর রহমান রিপন নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও দুজন। এ সময় উভয়পক্ষের ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। রবিবার রাত ২টার দিকে মিনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিপন আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। নিহতের বাবা আবুল কালাম আজাদ ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে কোন্দল চরমে। মহানগরের দুই অংশে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বন্দ্বে কমিটির কাজও বিলম্বিত হচ্ছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান ও ড. আবদুর রাজ্জাককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত বুধবার মহানগরের সাংগঠনিক কাজে গতি বাড়াতে দলের আরও দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।এ ছাড়াও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলেন বেশ কিছু জায়গায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে পৌঁছেছে।দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের নেত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন শত ফুল ফুটবে; কিন্তু সুন্দর ফুলটা উনি বেঁচে নেবেন। তাই বলে অন্য জনের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য নিজের পজিশনকে হাইলাইট করা এগুলো দল একসেপ্ট করবে না। নেত্রী বলেছেন এসব অভিযোগ থাকলে এবং তা যদি প্রমাণ হয় তা হলে তাদের মনোনয়নও দেওয়া হবে না।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আমাদের সময়কে বলেন, ‘নৌকা যার, আমরা সবাই তার। অর্থাৎ যে নৌকার মনোনয়ন পাবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। এমন ধারণা নিয়েই আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করছে। ফলে কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশীকে বাধা দেওয়ার সুযোগ নাই। এ বিষয়ে অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই কঠোর হয়ে তা নিরসনের চেষ্টা করব।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b43dc86109, আমাদের সময়,১৯ অক্টোবর ২০২৩, নির্বাচনী সরকারে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনাই," বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনি শেষ বার্তা দিয়েছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিচ্ছি- আগামী নির্বাচনী সরকারে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’গতকাল বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে ‘শান্তি সমাবেশে’ ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি মোকাবিলায় দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবরোধ করলে পাল্টা অবরোধ করুন। দাঁড়াতে দেব না। আর অবরোধ যারা করবে, ঢাকা অচল যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে বন্ধুরা কী ব্যবস্থা নেয় আমরা তা দেখব।’ দলের নেতাকর্মীদের উদ্যম ও প্রত্যয় ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ স্পিরিট যেন থাকে। কেউ কেউ বলে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে স্পিরিট বাড়ে, সরকারি দলে থাকলে একটু নরম নরম। এখন তো দেখছি স্পিরিট আছে।’বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের পকেট গরম, মালপানি ভালো আসছে। উনার পকেট গরম, কথাও গরম। হুশিয়ারি দেন, আমাদের ধমক দেন, ভয় দেখান। মির্জ ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাশতা খেয়ে অনশন করেন তিন ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খেয়ে অনশন বন্ধ করে দেন।’বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ আন্দোলন তারা করছে, আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণবলে দিচ্ছে, কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, আজ নয়-কাল, এভাবে বলবেন না। আপনারা কে বার্তা দেওয়ার? আর ক্ষমতা কার কাছে দেবেন শেখ হাসিনা? আপনার কাছে, নাকি দ-িত যুবরাজ তারেক রহমানের কাছে? আমিও বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, শেষ বার্তা। আপনি শেষ বার্তা দিয়েছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে, আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিচ্ছি- আগামী নির্বাচনী সরকারে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন বার্তা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, নির্বাচনের পর আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। এটাই আমাদের বার্তা, অন্যথা হবে না।’সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বক্তারা বলেন, ‘এরা (বিএনপি-জামায়াত) অস্ত্র সংগ্রহ করছে, চোরাই পথে অস্ত্র আনছে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এরা আগামীতে একটা নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থেকে রাজপথ দখলে রাখতে হবে।’সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।এর আগে সকালে বনানীতে শেখ রাসেলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী; স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে, সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশগ্রহণ না করে, সে জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে না। বহুদল আছে, যারা নির্বাচনে আসবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b430a9ffe, আমাদের সময়,১৮ অক্টোবর ২০২৩, বিএনপি নির্বাচনে না এলে মুসলিম লীগের মতো হারিয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান," বিএনপি এবার নির্বাচনে না আসলে মুসলিম লীগের মতো হারিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।আজ বুধবার বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কৃষক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বিএনপি নানাভাবে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে। আমরা তাদের নির্বাচনে আসার জন্য আহ্বান করছি, কিন্তু তারা না আসার পায়তারা করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দিবে না। আমি বলতে চাই, আপনারা ভুল করছেন। আপনারা যদি নির্বাচনে না আসেন মুসলিম লীগের মতো হারিয়ে যাবেন। মুসলিম লীগের মতো আপনাদের অস্তিত্ব কেউ আর খুঁজে পাবে না।’ সালমান এফ রহমান কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল খাত এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষিখাতও পিছিয়ে নেই। তাই আমাদের এখন স্মার্ট কৃষক দরকার। যারা বাংলাদেশকে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করবে। যারা গবেষণার মাধ্যমে নানা জাতের ফসল উৎপাদন করবে।’এর আগে আজ সকালে দোহার উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক মহাসমাবেশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সঙ্গে মহাসম্মেলন অংশ নেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সালমান এফ রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা হলেন রণাঙ্গনের যোদ্ধা। আপনাদের জন্য বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা স্বাধীন করতে পেরেছেন। আমরা যখন বিদেশ যেতাম আমাদের সবুজ পাসপোর্ট দেখেই ইমিগ্রেশন অফিসার বলে দিতেন তোমরা শেখ মুজিবের দেশের লোক। তখন আমাদের অনেক অহংকার হতো। কিন্তু ৭৫’র পর যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন তারাই আমাদের ধিক্কার দিয়ে বলত যারা দেশের পিতাকে খুন করতে পারে তারা অনেক ভয়ংকর।’কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের যাদের টাকা আছে তারা সবাই কৃষিতে বিনিয়োগ করবেন। কারণ কৃষি আপনাদের শান্তি দিবে, স্বস্তি দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কোনো জমি অনাবাদী রাখতে নিষেধ করেছেন তাই আসুন আমরা সবাই কৃষিকে গুরুত্ব দেই।’এ সময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান, দোহার সার্কেল আশরাফুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. আরিফুর রহমান শিকদার, দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ, কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া, একেএম মনিরুজ্জামান তুহিনসহ কয়েক শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b3d76e5b6, আমাদের সময়,১৭ অক্টোবর ২০২৩, বাম জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা," ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে পুলিশ তাদের ভবনের কাছে যেতে দেয়নি, রাস্তা থেকেই সরিয়ে দেয়।আজ মঙ্গলবার আইডিবি ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে নির্বাচন ভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে তারা সেখানে ১০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন।এর আগে বিক্ষোভ মিছিল করে জোটের নেতারা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।ঘেরাও কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ভোট হবে না। ইসির কাজ দেখে মনে হয় তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে তিনটি পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সরকার পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনায় বসতে হবে। নির্বাচন কমিশন সরকারকে বলবে যে সারা দেশের মানুষ চায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।’তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক বলেন, ‘এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। তাই পূর্ব অনুমতি না নিয়ে তারা এখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি জানতাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম বিষয়টি জেনেছি। তারপর তাদের অনুরোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018b186ec4a1, আমাদের সময়,১০ অক্টোবর ২০২৩," যারা নির্বাচনের ধোঁয়া তোলে, তারা নির্বাচন চায় না: প্রধানমন্ত্রী"," প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা নির্বাচনের ধোঁয়া তোলে, আর প্রতিদিন আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে হটায়, তারা কখনো অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। তাদের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত থেকে।’সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোট চুরি করা ছাড়া তারা কোনোদিন ক্ষমতায় আসেনি। যে কারণে ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনে মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল। তারপর থেকে তারা নির্বাচন বয়কট, নির্বাচন নিয়ে খেলা, আগুন-সন্ত্রাসে মেতে আছে।’পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার মাওয়া রেলস্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। এক ভদ্রলোক… হ্যাঁ বিশ্বজুড়ে নাম জুড়িয়েছে তার, কিন্তু সামান্য একটি ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবে না বয়সের কারণে, সেটা বলার কারণে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক। তার পক্ষে। সেইদিন বলেছিলাম, নিজের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করব। ইনশাআল্লাহ আমরা তা করে দেখিয়েছি। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাঙালি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সুষ্ঠু ভোটের কথা বলে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসছে বলেই অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আর যারা নির্বাচনের ধোঁয়া তোলে, আর প্রতিদিন আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে হটায়, তারা কখনো অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। তাদের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত থেকে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সাল থেকে ৯৬, আর ২০০১ থেকে ২০০৮ এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেন পারেনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে। আসলে তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনি, এদেশের মানুষের দিকে ফিরে তাকায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমরাই প্রথম এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যে কর্মসূচি নিয়েছি তার সুফল আজ দেশবাসী পাচ্ছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সব কিছু স্মার্ট হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে স্বপ্নপূরণের দিন। এই শুভদিনে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’তিনি বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নিচু করে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।’এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার নেতা, নিহত মুক্তিযোদ্ধা, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন।পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেলপথ চলে গেছে ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। যা উদ্বোধন হলো আজ।উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে এ রুটে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।নতুন রেলপথটি ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর-ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এই রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ae21f87fd10, আমাদের সময়, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বর্তমান সংবিধানে নির্বাচন হতে পারে না," দেশের বর্তমান সংবিধানের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আসুন নারী-পুরুষ মিলে ঐক্য গড়ে তুলি; সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নতুন নির্বাচন দিতে। এটাই রাজনৈতিক সমাধানের একমাত্র পথ।’গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ‘মহিলা সমাবেশে’ মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।বৃষ্টির কারণে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এত বেশি অহংকারী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, দেশের মানুষের অবস্থা চিন্তা করছেন না। দেশের সব রাজনৈতিক দল বলছে, আমরা একটা নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তখন সেটা তিনি উড়িয়ে দিয়ে আবার পুরনো কথাÑ সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ আপনারা ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারবে না।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তা হলে মহিলাসহ কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা থাকবে না, আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারাব, সার্বভৌমত্ব হারাব, আমাদের গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে, আমাদের কোনো অধিকার আর থাকবে না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ খুব পরিষ্কার করে বলতে চাইÑ সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা মনে করি, এই সরকার অবৈধ হলেও দেশনেত্রীকে তারা বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।’দ্রব্যমূল্যের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাল-ডাল-লবণসহ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে, তা কমাতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু কেউ সেই দামের কথা মানছে না। আজ তারা জোর করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।’সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারীসমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ তাদের নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানদের খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এ জন্য আজ দেশের নারীসমাজ জাগ্রত হয়েছে। কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খানম রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নাজমুন নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ইয়াসমীন আরা হক, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, অর্পণা রায় দাশ, শাহানা আখতার শানু, নায়েবা ইউসুফ ও রুমা আখতার।মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ae08313aa, আমাদের সময়,২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ‘নির্বাচন করার চেষ্টা করলে ফেঁসে যাবেন’," ‘জেদ ধরে লাভ নাই, আপনার সরকারের সময় শেষের দিকে চলে এসেছে। যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এবার নির্বাচন আপনি করতে পারবেন না। নির্বাচন করলে আপনি ফেঁসে যাবেন।’ সরকারের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।আজ শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বের দাবি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কোর্ট বেকায়দায় পড়ে গেছে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমেরিকা কোর্টকেও ভিসা নীতির আওতায় নিয়ে এসেছে। এ সরকার শেষের দিকে চলে এসেছে। তারা গত ১৫ বছর অনেক খারাপ কাজ করেছে। শেষ সময়ে কিছু ভালো কাজ করলে জনগণের রোষানল থেকে বাঁচতেও পারে। জনগণের দাবির অনুকূলে পরাজয় স্বীকার করা ইতিবাচক। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া তা করে দেখিয়েছেন। আন্দোলনের সময় তিনি কেয়ারটেকার মেনে আইন পাশ করে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন। যা গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কাজগুলো করেছেন, সেগুলোর দায় স্বীকার করে নিতে হবে। তাহলে হয়তো জনগণের ক্ষোভের থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আরেকটা কারণে বাঁচতে পারেন, যদি আমেরিকা থেকে সরাসরি খালেদা জিয়ার বাসায় যান, এতে লজ্জার কিছু নেই। ক্ষমা চাইতে হবে না, বলবেন যা হওয়ার হইছে, আসেন সব ঠিক করি।তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, বিপদ ধেয়ে আসছে। আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতো সংকটময় সময় দেখিনি। একবার যদি আগুন লেগে যায়, মানুষ যদি রাস্তায় নেমে পড়ে, তাহলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে। পুলিশ তার থানা ছেড়ে পালাবে, প্রশাসন তার ঘর ছেড়ে পালাবে। আর ক্ষমতাবানরা তাদের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমেরিকায় অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। এর একমাত্র সমাধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ae13d763d, আমাদের সময়,২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না," দেশের বর্তমান সংবিধানের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ‘মহিলা সমাবেশে’ তিনি এই মন্তব্য করেন।‘সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এই ‘মহিলা সমাবেশ’ হয়।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আগামী দিনগুলোতে আমরা নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলি, সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে নতুন নির্বাচন দিতে। সেখানেই এই রাজনৈতিক সমাধানে একমাত্র পথ।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এত বেশি অহংকারী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েছেন যে, দেশের মানুষের অবস্থা চিন্তা করছেন না। দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তখন সেটা তিনি উড়িয়ে দিয়ে আবারও তার পুরোনো কথা, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে।’তিনি বলেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ আপনারা ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারবে না। আমার মা-বোনের ভোট দিতে পারেন না। গত দুইটি নির্বাচনে তারা (মা-বোনেরা) ভোট দিতে পারেননি, তাদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে মহিলাসহ কোনো মানুষেরই কোনো নিরাপত্তা থাকবে না, আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে হারাব, আমাদের সার্বভৌমত্বকে হারাব, আমাদের গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে, আমাদের কোনো অধিকার আর থাকবে না।’গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে প্রত্যাশা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আশা করি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে(গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন) তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই সরকার অবৈধ হলেও দেশনেত্রীকে তারা বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।’বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখে, এখন গৃহবন্দী রেখে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর তাকে দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর একটি মাত্র কারণ যে, তারা (সরকার) জানে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকেন, তাহলে জনগণের যে স্রোত করে তারা বন্ধ করতে পারবে না এবং তাদের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’দেশের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চাল-ডাল-লবন প্রত্যেকটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে তা কমাতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে কিন্তু কেউ সেই দামের কথা মানছে না। আজকে তারা জোর করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।’এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি সেটা দেবেন? মা- বোনদের কাছে জানতে চাই, ওদেরকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবেন?’ এই সময়ে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা ‘না’ সূচক স্লোগান দিতে থাকেন।এই সরকারের আমলে গণতন্ত্রের জন্য মিছিল মিটিং অংশ নিতে গিয়ে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নারীদের কারগারে পাঠানোর বিভিন্ন ঘটনাও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এরা একটি অত্যাচারী সরকার। এই সরকারের হাতে মানুষের নিরাপত্তা নাই, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নাই, শিশুদের নিরাপত্তা নাই।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী সমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ তাদের নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানদের খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এজন্য আজ দেশের নারী সমাজ জাগ্রত হয়েছে।’ কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সাবেক এই মন্ত্রী।মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খানম রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নাজমুন নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ইয়াসমীন আরা হক, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, অর্পনা রায় দাশ, শাহানা আখতার শানু, নায়েবা ইউসুফ, রুমা আখতারসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতারা।সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ac3852df512, আমাদের সময়,২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে নির্বাচন বানচালের," আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে; দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়নি, যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ওই পাক বাহিনীকে যারা অস্ত্র দিয়েছিল, তাদের মোকাবিলা করেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আগামীতেও এ দেশ পরাজিত হবে না।গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এক ‘শান্তি সমাবেশে’ ক্ষমতাসীন দলের নেতারাএসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে।আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে ও বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিরোধে যে প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করা হয়েছে, আমি তার সঙ্গে একমত। আজ একটাই কথাÑ দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে আমরা শান্তি, উন্নয়ন ও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে চাই।সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ওই পাক বাহিনীকে যারা অস্ত্র দিয়েছিল, তাদের মোকাবিলা করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা পরাজিত হইনি। আজকেও বলতে চাই, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমা বিশে^র কিছু দেশ, কিছু নেতা, যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা নানা কৌশল করছেন, তাদের কাছে আমরা বলতে চাই- একাত্তরে আমরা পরাজিত হইনি, ওই নৌবহরের হুমকিতে আমরা পালিয়ে যাইনি। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে, অতীতেও আমরা ব্যর্থ হইনি, আগামীতেও হব না।’সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্র চলছে। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের বিদেশি মদদদাতারা এক হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। এটা আফগানিস্তান নয়; পাকিস্তান নয়। আফগানিস্তান-পাকিস্তানে পুতুল সরকার বানাতে পারেন; কিন্তু এটা বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না।’সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগে সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ac385444f4, আমাদের সময়,২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে জনগণ পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেবে," বাংলাদেশের বাইরে থেকে কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণই তাদের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনÑ আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের পর নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে নিষেধাজ্ঞা দেবে বা দেবে না, তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়ি-ঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে; তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।’ তিনি বলেন, ‘যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশ থেকেও যদি কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হয়, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। নির্বাচন বানচালের যারা উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য এটা ভালো হবে; কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে কোনো অগ্নিসংযোগ করতে পারবে না। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে আমার কিছু বলার নেই; কিন্তু আওয়ামী লীগ কারও শক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসেনি। আমি জনগণের শক্তি এবং তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তা সত্ত্বেও সরকারপ্রধানের ক্ষমতাবলে তিনি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাদ- স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসহ অসংখ্য নির্বাচন করেছে, যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। যারা বিশৃঙ্খলা বা দেশের সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি থাকলে বাংলাদেশ বিশাল উন্নয়নের রোলমডেল হতে পারত না। সরকার শুধু মেগা প্রকল্পই তৈরি করেনি, উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। কিছু লোক আছে, যারা দেশের কল্যাণ চায় না। প্রবাসীরা সচেতন থাকলে এই স্বার্থান্বেষী মহল সফল হতে পারবে না।এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেনÑ ‘বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে, কী জঘন্য কাজ হয়েছে। যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে, তারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিদেশে থাকেন, তাদের বুঝতে হবে, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে। তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ও বিএনপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান সরদার বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। এ জন্য তারা দেশের গণতান্ত্রিক ধারা বানচালের চেষ্টা চলছে।’অন্যদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক এবং বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবি নাজনীন বক্তব্য রাখেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018abd2eded7, আমাদের সময়,২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র," বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিপক্ষে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন। ভিসা নীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও এই নীতি প্রয়োগ হতে পারে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ওই ব্যক্তিরা ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদেরও ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের এই কার্যক্রম বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি ও সারা বিশ্বে যারা গণতন্ত্র বজায় রাখছেন তাদের সহায়তার অংশ। এর আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন জালিয়াতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018abca9039f, আমাদের সময়,২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পশ্চিমারা বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে," গণতন্ত্রহীনতার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোট নেতারা।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জোট নেতারা এ কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে জোটের নেতারা বলেন, এ সরকারের প্রতি পশ্চিমাবিশ্বসহ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে এ গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।জোট নেতারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বজাধারী আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।নেতারা আরও বলেন, ১৫ বছর ধরে আবারও অঘোষিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দুইবারের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায় তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।দেশে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।নেতারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবে না বলে দম্ভোক্তি করেছিল। কিন্তু যখন দেখল পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে নানাভাবে তদবির করে আমেরিকাকে ম্যানেজ করতে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছে। আমরা বলতে চাই এতে কোনো লাভ হবে না। বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে, শেখ হাসিনা আপনি এবারে খেলা বন্ধ করুন।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. ইবরাহীম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদারসহ আরও অনেকে। বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়া আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018ab7e04695, আমাদের সময়,২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩," বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তাই পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইইউ"," দেশে নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি ঘোষিত সিলেটে তারুণ্যের রোডমার্চে যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ বলেছে তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। কারণ বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।আমির খসরু আরও বলেন, নিরপেক্ষ সরকার বাদে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা তো বিদেশিরা সরাসরি বলতে পারে না। বিভিন্ন কথাবার্তার মাধ্যমে, তাদের পার্লামেন্টে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে, তাদের লোকজন এখানে এসে যে রিপোর্ট দেয় তার মাধ্যমে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়ে তারা এ কথা বলছে।তিনি আরও বলেন, বিএনপি একা নয়, দেশের মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। এখন তারা রাস্তায় ট্রাক-বাস দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। গায়েবি মামলা দিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না। মানুষ তাদের দেশের মালিকানা নিয়ে দেশে ফিরবেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম জাহিদ হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীমসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018aa40b7ac8, আমাদের সময়,১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন এলে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসে ব্যস্ত থাকে: স্বরাষ্টমন্ত্রী," স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি দেশে জঙ্গিবাদ ও ধ্বংস ছাড়া কিছুই করতে পারে না। তারা পারে না কোনো উন্নয়ন করতে। নির্বাচন এলে বিএনপি কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করবে, কীভাবে দেশকে অচল করবে, কীভাবে দেশকে অন্ধকার করবে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এদেশের মানুষ এটা ভালো করেই বুঝে গেছেন।আজ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।দেশের মানুষ আর বিএনপির অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষ আলোকিত বাংলাদেশ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় চায়। এ দেশের মানুষ ভালো করে জানে, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নৌকার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের মূল শক্তি দেশের জনগণ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। ভোলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন আল ফারুক মাহমুদ হোসাইন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018aa2181284, আমাদের সময়,১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই: নানক," নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়া বা নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।আজ রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।নানক বলেন, আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। সেই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বিদায় যে কোন মার্চ তারা (বিএনপি) করতে পারে। আমি দোয়া করি যেন এ রোডমার্চ শান্তিপূর্ণ থাকে। এই রোডমার্চ করতে করতে যেন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করে ফেলে। তাদের যা যা করণীয় শান্তিপূর্ণভাবে করুক। বিএনপি তাদের ভুল পথচারীদের নির্বাচনের পথে আসলে অভিনন্দন জানাবো। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার, নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই। আগুন কিভাবে লেগেছে তার জন্য মার্কেট কমিটিকে একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য আহ্বান জানান ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য।তিনি বলেন, সরকারের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আপনারা একটি ছোট তদন্ত কমিটি করবেন। কিভাবে আগুন লেগেছে সেটি বের করবে। কি দুর্বলতা ছিল? কি দুর্বল দিকগুলো ছিল? ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যার যেখানে দোকান ছিল সেখানেই তাকে বরাদ্দ দিতে হবে। এখানে আমরা আকাশ কুসুম কল্পনা করতে চাই না। ছয় তলা, নয় তলা,১৪ তলা মার্কেট কবে হবে। এই ভরসার জোরে মানুষগুলো অনিশ্চয়তায় থাকতে পারে না। দোকান মালিক,দোকানদাররা যা চাইবেন তাই হবে এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা এর বাইরে কিছু করতে দেব না। মার্কেটটা হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মার্কেট। সেই প্রাণের মার্কেটটি পুড়ে গিয়েছে, আমাদের হৃদয় পুড়ে গিয়েছে। দোকান বরাদ্দের প্রসঙ্গে নানক বলেন, এখানে কেউ বঞ্চিত হবে না। অসাধু চিন্তা বাস্তবায়নের কোন সুযোগ নেই। আমি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করব। সরকারের তরফ থেকে সকলকে বিষয়ে তদারকি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আজকর নিউইয়র্কে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্ট্রন, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষি মাকের্টের বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a9fe0341b, আমাদের সময়,১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচনকে সামনে রেখে সবখানে অপপ্রচার চলছে," নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে দাবি করেছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। গত ১৫ বছরে সরকার তথ্যপ্রযুক্তিসহ সবখানে উন্নয়ন করেছে। তারপরও বিএনপি-জামায়াত মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তবে দ্রব্যমূল্যের চলমান ঊর্ধ্বগতি এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনা না গেলে আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য পুনরায় ক্ষমতায় আসা চ্যালেঞ্জের হবে বলেও তারা মত দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্সইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (আইইবি) পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সকল যড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তিসহ মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে আমরা দেখেছি। নিজেদের ভুলের ব্যাপারে আত্মসমালোচনা করতে হবে।’তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছে, কিন্তু আমরা বিরোধিতা করছি। কেন করছি, সেটি মানুষকে বোঝাতে হবে। অস্থায়ী এই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতায় থাকে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।’গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। করোনার সময়েও সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলেও সিন্ডিকেটের সঙ্গে না পেরে ওঠায় এখন সম্ভব হচ্ছে না।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সব খাতে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও এক-এগারোতে যেমনটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ড. ইউনূসের মামলায় নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ বিশিষ্ট নেতার বিবৃতি দেখেছি, এটির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে সেভাবেই আমাদের একত্রিত হতে হবে।’বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে জনগণই হবেন প্রজাতন্ত্রের মালিক, যা ’৭২-এর সংবিধানে বলা হয়েছে। উন্নয়নের কোনো প্রেসক্রিপশন নেই। রিজার্ভ যেভাবে কমে যাচ্ছে মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে কতটা সেটি ধরে রাখা যাবে তা ভাবনার বিষয়। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ অনেক কিছুর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। মডেল মসজিদ হলেও মডেল ক্লিনিক হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চকে অস্বীকার করে কোনো রাজনৈতিক দল এ দেশে এগিয়ে যেতে পারবে না, বিএনপি-জামায়াতও তাই।’সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ড. ইউনূসের মামলার বিষয়ে যদি আমরা সবাইকে আসল বিষয়টি জানাতে পারতাম তাহলে এ অবস্থা তৈরি হতো না। এখানে জঙ্গিবাদের যিনি প্রশ্রয় দিচ্ছেন তার ব্যাপারে কিছু বলা হয় না। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা নিয়ে কথা উঠে না। তাই, অপপ্রচারের পরিবর্তে আমরা যদি প্রকৃতটা তুলে ধরতে পারি তাহলে এগিয়ে যেতে পারব।’পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, পরাজিত শক্তিরা আবারও মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এ জন্য আমাদের একত্রিত হতে হবে। কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a9f097551, আমাদের সময়,১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন এবার চলবে না," বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়; তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন করেছিল, ২০১৮ সালে যেভাবে করেছিল, এবারও একই কায়দায় একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে; একতরফা নির্বাচন এবার চলবে না।গতকাল শনিবার ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ নিয়ে রংপুর থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পর এক পথসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনÑ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ রোডমার্চের আয়োজন করে। একই দাবিতে আজ তারুণ্যের রোডমার্চ শুরু হবে রাজশাহী থেকে; শেষ হবে বগুড়া গিয়ে।গতকাল রংপুর থেকে রোডমার্চ শুরু হয় বেলা সোয়া ১১টার দিকে। ৬ ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে রোডমার্চ শেষ হয় দিনাজপুর গিয়ে। এতে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও পিকআপে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।রোডমার্চ কর্মসূচিতে থাকা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রংপুর গ্রান্ড হোটেল মোড় ও দিনাজপুর শহরের বটতলী এলাকার ট্রাক টার্মিনাল মাঠ ছাড়াও পথে ছয়টি পথসভা হয়। এর মধ্যে রয়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ বাজার রোড, নীফামারীর সৈয়দপুর রোডেরপাগলাপীর বাজার, সৈয়দপুর ট্রাকস্ট্যান্ড ময়দান, সৈয়দপুর ওয়াপদার মোড়, দিনাজপুরের রানীরবন্দর ও চিরিরবন্দর বাজার।রোডমার্চ চলবেদৈনিক আমাদের সময়ের রংপুর ব্যুরো জানায়, রোডমার্চ শুরুর আগে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উদ্বোধনী পথসভা হয়। এতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে তরুণদের এই রোডমার্চ রংপুর থেকে শুরু হলো। আমাদের এই তরুণদের রোডমার্চ সরকার পতন করেই থামবে, তার আগে নয়।’মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অসহায় ও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাল, তেল, লবণসহ সবকিছুর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অনেক, কিন্তু মানুষ বিদ্যুৎ পায় না। লোডশেডিং লেগেই আছে; কৃষিকাজে সেচ দিতে পারে না। আজ ব্যাংক থেকে দুর্নীতি করে, চুরি করে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিদেশে অর্থ পাচার করছে। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখবেন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা (সরকার) চুরি করছে। সে কারণে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না।বিএনপি মহাসচিব বলেন, রংপুরের কৃষকনেতা নূরলদীন ডাক দিয়েছিল ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’। আজ রংপুর থেকেই আবার এই তরুণরা বাংলাদেশের মানুষকে ডাক দিচ্ছেÑ এই ভয়াবহ একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য।‘জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে’দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে তারুণ্যের রোডমার্চ দিনাজপুর শহরের বটতলী ট্রাক টার্মিনাল মাঠে পৌঁছায়। সেখানে সমাপনী পথসভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল আজ ঐক্যবদ্ধ। সবাই বলছেÑ এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। কারণ তাদের অধীনে নির্বাচনে সুষ্ঠু হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচিত নয়। তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তার পরও তাদের শখ মেটে না। তারা আবার অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকতে চায়। মানে মানে কথা শুনুন; দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। না হয় দেশের মানুষ আপনাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৬ বছরে সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আজ ৪০ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।‘সরকারকে বিদায় নিতেই হবে’সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তারুণ্যের রোডমার্চ নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে পৌঁছায়। সেখানে পথসভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারুণ্যের মিছিলে রাজপথে নেমেছি। জনগণের আন্দোলনের মুখে এ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। পথসভায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিছ ইসলাম, সৈয়দপুর জেলা (সাংগঠনিক) বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার বক্তব্য রাখেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a9e3ef811, আমাদের সময়,১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করা হবে," বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।’আজশনিবার তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রংপুর থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে এ রোডমার্চ রংপুর থেকে শুরু হয়। দিনাজপুরে গিয়ে এই রোডমার্চ শেষ হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়।মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে, ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। কৃষক সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছেন না।তিনি বলেন, সরকার ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শিবা শানু প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a9d652510, আমাদের সময়,১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন কেন্দ্র করে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে," নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। তারা বলছেন, গত ১৫ বছরে সরকার তথ্য-প্রযুক্তিসহ সবখানে উন্নয়ন করেছে। তারপরও বিএনপি-জামায়াত মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে চলমান দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে আগামী নির্বাচনে সরকারের জন্য জয় পাওয়া চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মত দেন তারা।আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (আইইবি) পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সব যড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। গত ১৫ বছরে তথ্য-প্রযুক্তিসহ মানুষের জীবনে কি পরিবর্তন এসেছে সেটি দেখতে হবে। নিজেদের ভুলের ব্যাপারে আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন চাইছে, কিন্তু আমরা এটি চাচ্ছি না।কেন চাই না, সেটি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা ক্ষমতায় থাকে। গণতন্ত্রের জন্যও এই ব্যবস্থা হুমকিস্বরূপ।’গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। করোনার সময়েও সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলেও সিন্ডিকেটের সঙ্গে না পেরে ওঠায় এখন সম্ভব হচ্ছে না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এমনকি ডাবের দাম বাড়ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, শাস্তির আওতায় আনা হয়নি কাউকে। খোলাবাজারে তেল পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলো মানুষ দেখছে, ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এতে করে সরকারের এত এত উন্নয়ন সবকিছু এসবে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তারপরও উন্নয়নকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশিও বিদেশি চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সবখাতে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও এক-এগারোতে যেমনটা প্রধানমন্ত্রীকে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ড. ইউনুসের মামলায় নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিশিষ্ট নেতার বিবৃতি দেখেছি, এটির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে সেভাবেই আমাদের একত্রিত হতে হবে।’বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘৪০ শতাংশ ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে জনগণই হবেন প্রজাতন্ত্রের মালিক। যা ৭২-এর সংবিধানে বলা হয়েছে। উন্নয়নের কোনো প্রেসক্রিপশন নেই। রিজার্ভ যেভাবে কমে যাচ্ছে মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে কতটা সেটি ধরে রাখা যাবে তা ভাবনার বিষয়। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ অনেককিছু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। মডেল মসজিদ হলেও মডেল ক্লিনিক হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চকে অস্বীকার করে কোনো রাজনৈতিক দল এদেশে এগিয়ে যেতে পারবে না, বিএনপি-জামায়াতও তাই। অন্যদিকে, সরকার অসাম্প্রদায়িক কথা বললেও মডেল মসজিদ করছে। যা রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে।’অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে আজ সবখানে অপপ্রচার হচ্ছে। ড. ইউনুসেন মামলার বিষয়ে যদি আমরা সবাইকে আসল বিষয়টি জানাতে পারতাম তাহলে এ অবস্থা তৈরি হতো না। এখানে জঙ্গিবাদের যিনি প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তার ব্যাপারে কিছু বলা হয় না। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা নিয়ে কথা ওঠে না। তাই, অপপ্রচারের পরিবর্তে আমরা যদি প্রকৃতটা তুলে ধরতে পারি তাহলে এগিয়ে যেতে পারব।’অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে বহু গায়েবি মামলা ছিল, সেখান থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসা গেছে। উন্নয়নকে তুলে ধরতে হবে, গুজব প্রতিরোধ করতে হবে।’পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে, পরাজিত শক্তিরা আবারও মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আমাদের একত্রিত হতে হবে। কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না।’ ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/sudheejner-gud-sajesn-nebe-nirwacn-kmisn, আমাদের সময়,১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মোংলা বন্দর সিবিএ যথাসময়ে নির্বাচন না দেওয়ার পাঁয়তারা," মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) নির্বাচন যথাসময়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ দিন আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বিধান থাকলেও সেটি করা হয়নি। সিবিএর বর্তমান নেতারা এ নিয়ে তালবাহানা করায় বন্দর কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগও জমা পড়েছে। মোংলা সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজ ও যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান সাকিব বলেন, গঠনতন্ত্রে ২৬ নম্বর ধারা মোতাবেক ৪৫ দিন আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার বিধান থাকলেও বর্তমান পরিষদ এখনও তা করেননি। গত ২ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণার সময় পার হয়ে গেছে। বর্তমান পরিষদের নেতারা যথাসময়ে নির্বাচন না করতেই এমন তালবাহানা করছেন। তবে নির্বাচন না দেওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে সচল বন্দরের উন্নয়ন গতিধারা ব্যাহত হবে বলেও জানান তারা। অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এর ব্যতিক্রম হলে বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা আন্দোলন করে সিবিএ ভবন তালাবদ্ধ করে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে রেজিস্টার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন বিভাগীয় শ্রম দপ্তর খুলনার পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মোংলা বন্দর সিবিএ নির্বাচন যথাসময়ে দেবেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8931c49a, আমাদের সময়,১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বাইডেনের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি শেখ হাসিনার," ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপকালে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।নয়াদিল্লিতে হাসিনা-বাইডেনের মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খুব ভালো, ভালো কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি বাবা-মা, ভাইদের হারিয়েছি, পরিবারের লোকদের হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। তাদের মুখে দুই বেলা ভাত, জীবনমানের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি’’।’তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘আমার বিরাট পরিবার, ১৭০ মিলিয়নের পরিবার। এদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটা সুন্দর বাংলাদেশ। আমার একটাই জীবনের কাম্য, আমার দেশবাসীর মঙ্গল করা’’।’শেখ হাসিনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে জো বাইডেন কী বলেছেন, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘তিনি বলেছেন, ‘‘আমি জানি’’।’তাদের আলাপকালে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।’সরকার কোনো চাপের মধ্যে নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনও চাপের মুখে ছিলাম না। আমরা চাপের মধ্যে নাই। আমরা আগামী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং আমরা কোনো চাপের মধ্যে নেই। আপনারা (সাংবাদিকরা) বরং চাপের মধ্যে আছেন। আপনারা আমাদের চাপের মধ্যে ফেলতে চান।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80b96d5a, আমাদের সময়,১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের," মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ রোববার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে।তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল- এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।আরও পড়ুন: সমালোচনাকারীদের মুখে চুনকালি পড়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রীওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূস আমাদের সুখে দুঃখে নেই। তাকে আপন মানুষ ভাবব কেমন করে? যে বিবৃতি তিনি ছাপিয়েছেন তার খরচ দুই মিলিয়ন ডলার। কোথা থেকে এল এত টাকা? ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে বিএনপি। ওয়ান ইলেভেনের মতো নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠনের দিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে ইলেকশনে। ফাইনাল খেলা ইলেকশনে।যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80a8d743, আমাদের সময়,০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে বিরোধ জাপা-শ্রমিকলীগ নেতার পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তি," বরিশাল মহানগরে অস্ত্র নিয়ে দুই নেতার ধস্তাধস্তির একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওতে জাতীয় পার্টির (জাপা) আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদীন এবং নগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্নাকে দেখা গেছে। পরে অস্ত্রসহ মর্তুজা আবেদীনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই জাপা নেতা অস্ত্রটি নিজের বলে দাবি করলেও কাগজপত্র যাচাই করে দেখছে পুলিশ।গতকাল রবিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে সদর ভূমি অফিসের সামনে অস্ত্র নিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি অটোরিকশা ঘিরে আকস্মিক চিৎকার শুনে সবাই সেদিকে ছুটে যায়। তখন দেখা যায় একটি পিস্তল নিয়ে টানাটানি চলছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুত পিস্তলটি তাদের জিম্মায় নেন এবং মর্তুজাকে তাদের হেফাজতে নেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ মর্তুজাকে নিয়ে যান।শ্রমিকলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘আমার বাসার একটি জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল, যার কারণে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের সঙ্গে কথা বলতে আজ সেখানে যাই। ভূমি অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়াই। ওই মুহূর্তে পেছন থেকে মর্তুজা এসে আমার পেছনে দাঁড়ায়।’ মর্র্তুজার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হলে দুজনেই সামনে এগিয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি। এরপর মর্তুজা হঠাৎ অস্ত্র বের করলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।তবে পিস্তলটির লাইসেন্স আছে বলে জানিয়েছেন জাপা নেতা অ্যাডভোকেট মর্তুজা আবেদীন। তিনি বলেন, বাগবিত-ার একপর্যায়ে তারা কয়েকজনে মিলে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার কোমরে থাকা লাইসেন্স করা রিভলবার থাবা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর মারতে মারতে আমাকে একটি অটোরিকশার মধ্যে নিয়ে যায়। তখন এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এলে তাকে পিস্তলটি নিতে বলি, সে নেওয়ার আগেই একটি ছেলে সেটি নিয়ে যায়। তারপর ওই পুলিশ সদস্য ওই ছেলের কাছ থেকে পিস্তলটি নিজের জিম্মায় নেন।কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, মর্তুজা আবেদীনকে পিস্তলসহ আমাদের হেফাজতে নিয়ে এসেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, সেই সঙ্গে পিস্তলটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ২৫ বছর ধরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন অ্যাডভোকেট মর্তুজা আবেদীন। সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৎকালীন মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না। কিন্তু প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সেখানে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন মান্নার ভাই মুন্না হাওলাদার। ওই নির্বাচন কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80a70988, আমাদের সময়,০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নির্বাচন বানচালকারীদের প্রতিহত করতে হবে ," সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসায় বিএনপি-জামায়াতচক্র নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা অশান্তি ও সন্ত্রাসের দ্বারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নেত্রকোনা জেলা সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ধর্ম নিরপেক্ষ মানবিক সমাজ গড়ে তুলুন, ধর্মের নামে জামায়াত-শিবিরচক্রের সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন’Ñ এই স্লোগান সামনে রেখে স্থানীয় পাবলিক হলে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। পরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গণসংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করা হয়। সম্মেলনের প্রারম্ভে শোক প্রস্তাব ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুজ্জোহা প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80a66800, আমাদের সময়,০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, একতরফা নির্বাচন এবার সহজ হবে না," ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরের দিন শনিবার নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমানের বক্তব্যের জবাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এই হুশিয়ারি দেন।গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতন্ত্র ফোরাম নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না। আজকে (শনিবার) দেখলাম, একজন নির্বাচন কমিশনার সকালে বলেছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আজ থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন। কার নির্বাচনে আপনারা করতেছেন? বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচন; না কোনো একটি দলের নির্বাচন। নির্বাচনের একটা ঘোষণা দিল আর নির্বাচন হয়ে গেল, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিল আর নির্বাচন হয়ে গেলÑ এত সহজ না।আমীর খসরু বলেন, এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনগণের কাছে যেতে পারছে না। বিএনপির এক ভয়, নির্বাচনের আরেক ভয়। দুই ভয়ের মধ্যে তারা আছে। আর এদিকে জনগণকে বাইরে রেখে ভোটচুরির প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে ব্যবহার করছে। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেÑ এবার পিছপা হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পরে এবার সবচেয়ে বড় যুদ্ধে তারা নেমেছেÑ এবার মানুষ জয়ী হবে।’এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, এগুলো হচ্ছে স্বৈরাচারের আরেকটা বৈশিষ্ট্য। সে লুটপাট করবে এবং উন্নয়ন দেখাতে গিয়ে দুই-চার-পাঁচটা বড় বড় জিনিস এ রকম করে। ওই আইয়ুব খানও উন্নয়নের গান গাইত। সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও শরীফুল ইসলাম শাওনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80a330ca, আমাদের সময়,০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সিয়েরা লিওনের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা," সিয়েরা লিওনের নির্বাচন নিয়ে ভিসা নীতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিৃবতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২১২(এ)(৩)(সি) ধারা অনুযায়ী ভিসানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। সিয়েরা লিওনের নিবাচনের যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে তারা এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন।বিবৃতিতে বলা হয়, ভোট কারচুপি, ভোটার, পর্যবেক্ষক ও সুশীল সমাজের ওপর হুমকি কিংবা সহিংসতার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তের করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এ ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হলেও এই নীতি অনুসরণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি সিয়েরা লিওনের সবার জন্য নয়। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের ওপর। সিয়েরা লিওনের নাগরিকদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের অধিকারকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আইনি পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে জনগণের ইচ্ছাকে উৎসাহিত করে ওয়াশিংটন।আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a809ec863, আমাদের সময়,৩০ আগস্ট ২০২৩," নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান, ক্ষমতা দখলে নিল গ্যাবনের সেনাবাহিনী"," মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আজ বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয় সেনা কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো অনদিমবা। কিন্তু এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে সেনাবাহিনী। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এক সেনা সদস্য জানান, আমরা বর্তমান সরকারের ইতি ঘটিয়ে শান্তি রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি জানান, তিনি `কমিটি ফর দ্য ট্রানজিশন অ্যান্ড রিস্টোরেশন অব ইনস্টিটিউশন‘ এর পক্ষ হয়ে কথা বলছেন।ঘোষণায় বলা হয়, দেশটিতে গণতান্ত্রিক সবগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সেনা সদস্য বলেন, ২৬ আগস্ট ২০২৩ এর নির্বাচনে সব ফল বাতিল ঘোষণা করা হলো। ঘোষণা দেওয়ার সময় রিপাবলিকান গার্ড, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বঙ্গো পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনী এমন ঘোষণা দেয়। গ্যাবনে দায়িত্বরত এএফপির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সেনা কর্মকর্তারা যখন অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন রাজধানীর একাধিক জায়গায় গোলাগুলি চলছিল।আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে আরও ২৫ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রেরবিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেরন বঙ্গো। ভোট পেয়েছিলেন ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যালবার্ট অন্দো ওসা পেয়েছিলেন ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তিনি বঙ্গোর বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন।সোমবার অন্দোর নির্বাচনী কর্মকর্তা মাইক জকটেন বঙ্গোকে বিন রক্তপাতে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান। তবে কারচুপির কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি অন্দো।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a809cf89e, আমাদের সময়,২৯ আগস্ট ২০২৩, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে: সালমান এফ রহমান," প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচন নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপির মনে রাখা উচিত বাংলাদেশের জনগণ এতো বোকা নয়, বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে দিবে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি দাবি করছেন বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় এনে দিবেন। বিদেশিরা আওয়ামী লীগ সরকারকে চায় না। আমি তাদের বলতে চাই বিদেশিরা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আবারও বাংলাদেশ দেখতে চায়। কারণ আজও মার্কিন কোম্পানির বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৩০-৩৫ জন মার্কিন ব্যবসায়ী আমার সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য বসে আছেন।’আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দুই বোন দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসেন। তিনি কিন্তু তার পরিবার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে দেশে আসেননি। তিনি তার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশে আসেন।ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের অনেক সহ্য করেছি। আপনারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আবার যদি এই ধরনের ষড়যন্ত্র করেন আপনাদের সঙ্গে রাজপথে ফয়সালা হবে। আমরা আওয়ামী লীগ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিব।’ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আপনারা ঘোষণা দিয়েছিলেন ১০ ডিসেম্বর বেগম খালেদার প্রধানমন্ত্রীত্বে দেশ চলবে। আপনাদের ডিসেম্বর চলে গেছে। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি অক্টোবরে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। মনে রাখবেন শেখ হাসিনাকে হটান এতো সহজ না।’অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a809a82cb , আমাদের সময়,২৯ আগস্ট ২০২৩, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চক্রান্ত আছে," আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চক্রান্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব) ফারুক খান। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনাকে স্বাগত জানায় বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ফারুক খান বলেন, কতগুলো দেশ, বিশেষ করে আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য আমাদের নির্বাচন নিয়ে বারবার কথা বলছে। নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা বলার একটা বড় কারণ, তারা ভাবছে যে দেশে তাদের বিনিয়োগ আছে। তারা উন্নয়ন-অংশীদার। সুতরাং তারা মনে করে যে নির্বাচন নিয়ে তারা আলোচনা করতে পারে। নির্বাচন নিয়ে তাদের আলোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা বলেছি নির্বাচনের ব্যাপারে আমেরিকা বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যদি ভালো কোনো পরামর্শ থাকে, তা হলে সে পরামর্শগুলো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শেয়ার করতে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ধর্মবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা। আলোচনাসভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলম সাজু, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সরদার প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a809529e2, আমাদের সময়,২৬ আগস্ট ২০২৩, আশা বিএনপি নেতা দুলুর নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া," আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।আজ শনিবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় দুলু এ কথা বলেন।বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘জনগণ এবার ফুঁসে উঠেছে। আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে, তারেক রহমান অংশগ্রহণ করতে পারবে, ডা. জোবাইদা অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং আমরা অংশগ্রহণ করতে পারব—এমন নির্বাচন বাংলার মাটিতে হবে।’দুলু আরও বলেন, ‘বর্তমানে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে, তারা আগামীতে ক্ষমতায় আর থাকতে পারবে না। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। আপনারা ভোট দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ১/১১-এর নায়কেরা ফল উল্টে দিয়েছে। আগামী দিনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন না, সে ভোট হবে না। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, সে ভোট হবে।’বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র, আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, ভারত বলেন, জাতিসংঘ বলেন—সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তারা চায় বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সকল দলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচনে আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ২০১৮ সালের ভোটে প্রার্থীদের ঘর হতে বের হতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। সিংড়ায় দাউদার মাহমুদ প্রার্থী ছিল, তারা বের হলে হামলা হয়েছে, আক্রমণ হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে দাউদার মাহমুদ এখানে এমপি হতো, সে আপনাদের এমপি, জনতার এমপি।’উপজেলা বিএনপির সদস্য ইব্রাহিম খলিল ফটিকের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তায়েজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিংড়ার সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মন্টু, সদস্যসচিব দাউদার মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলী আজগর খান প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8094f4b8, আমাদের সময়,২৬ আগস্ট ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে বিএনপি: নানক," বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা পরিষদ।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে। এই পুতুল নাচ করে লাভ নেই। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তারেক জিয়া একজন পালাতক আসামি। তারা কোনো দিন নির্বাচন করতে পারবে না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির বন্ধুরা, আপনাদের প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসুন। তাহলে বিএনপির শেষ রক্ষা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’আওয়ামী লীগের এই বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান এই খুনে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। যেই গ্রেনেড পাকিস্তান আর্মি ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে।’জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল বিএনপি। মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ কবে আসবে সেই খবর মানুষ জানতে চাইত। আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল হক, পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80927f57 , আমাদের সময়,২৬ আগস্ট ২০২৩,২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে চার কম্পিউটারের বাটন ," ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ দিনে নয়, রাতে চারটি কম্পিউটারের বাটন ভোট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যে নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আজ শুক্রবার জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে আওয়ামী লীগের বক্তব্য কী ছিল, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। সেখানে বিএনপি একটা বড় দল হিসেবে অংশগ্রহণ করবে, সেটা আমরা চাই। কারণ, নির্বাচনটা যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, তা তত বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। সে কারণে আমরা আমাদের ইচ্ছাটা বলেছি যে আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চাই। যেটা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হবে।’এর জবাবে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘কথা এবং কাজের যদি মিল না থাকে সেই কথা কোনো মূল্য নেই। বিরোধীদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০১৮ সালে (নির্বাচনের আগে) এই সরকারের সঙ্গে (গণভবনে) আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে (প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে) বলা হয়েছিল, আপনারা নির্বাচনে আসেন আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেব। আমরা সেই কথা বিশ্বাস করেছিলাম, নির্বাচনে এসেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে আপনারা দেখেছেন, সেই নির্বাচনের প্রচারণা যেদিন শুরু হয়, প্রথম আমার ওপরে এবং আমার মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। মহাসচিবের (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। সারা বাংলাদেশে (বিরোধী প্রার্থী) মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই আক্রমণ নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলেছিল। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনেও লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলাম।’আরও পড়ুন: কয়েকটি সংসদীয় আসনে 'সামান্য'পরিবর্তনতিনি আরও বলেন, ‘এমন একটি নির্বাচন হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভোট দেয়নি। সেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ভোট দিয়েছে চার কম্পিউটারের বাটন। বাটন চারটি হচ্ছে ডিসি, এসপি, টিএনও এবং থানার ওসি। ঢাকা থেকে বাটনে টেপা হয়েছে। আর প্রতিটি আসনে নির্বাচনের ফলাফল বের হয়ে গেছে।’আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে ড. আবুদল মঈন খান বলেন, ‘আমরা চাই, আওয়ামী লীগের কথা ও কাজে মিল রাখুক, তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করুক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে সেই প্রক্রিয়ায় ফিরে আসুক- নিশ্চয়ই এদেশের মঙ্গল হবে।’দেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছি, সেই কর্মসূচির মাধ্যমে আবারও বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের কাছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেব, তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেব। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাকে মুক্ত করব। বিএনপি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে। আমরা চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেব।’সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফত এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8094f4b8 , আমাদের সময়,২৬ আগস্ট ২০২৩, নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে বিএনপি: নানক," বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা পরিষদ।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে পুতুল নাচ শুরু করেছে। এই পুতুল নাচ করে লাভ নেই। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তারেক জিয়া একজন পালাতক আসামি। তারা কোনো দিন নির্বাচন করতে পারবে না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির বন্ধুরা, আপনাদের প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসুন। তাহলে বিএনপির শেষ রক্ষা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’আওয়ামী লীগের এই বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান এই খুনে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। যেই গ্রেনেড পাকিস্তান আর্মি ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে।’জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল বিএনপি। মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ কবে আসবে সেই খবর মানুষ জানতে চাইত। আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল হক, পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a808d176b , আমাদের সময়,২৩ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচন সামনে রেখে আবার জাতীয় পার্টিতে নাটকীয়তা," জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে এলেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা) অস্থিরতা শুরু হয়। দেখা যায় কোনো না কোনো নাটকীয়তা। অতীতে নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল কিংবা মামলাসংক্রান্ত জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দলটিকে, যা নাটকীয়তা সংঘটনের কারণ হিসেবে দেখা হতো। এমন নাটকীয়তা আবারও দেখা গেল।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে অব্যাহতি প্রদান এবং নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন বলে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এর পর পরই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জিএম কাদেরের অনুসারীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান এবং বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানান। কিন্তু পরে রাতে এ বিষয়ে রওশন এরশাদ দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, তিনি নিজে চেয়ারম্যান নন, দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন।জাতীয় পার্টির অতীত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জীবদ্দশায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বছরজুড়ে স্বাভাবিক রাজনীতি করলেও নির্বাচনের আগে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করতেন। এ ক্ষেত্রে এরশাদের বড় দুর্বলতা ছিল তার বিগত দিনের ‘জটিল সব’ মামলা। জাপা নেতৃবৃন্দের ভাষ্য- দলটির আদর্শিক জায়গা থেকে বের হয়ে ক্ষমতায় থাকার ‘মরিয়া চেষ্টা রাজনীতিই’ দলটিকে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। এর মধ্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেছেন; কিন্তু দলটির নির্বাচনকেন্দ্রিক নাটকীয়তার অবসান ঘটেনি।গতকাল দুপুরে বেগম রওশন এরশাদের প্রেস ইউং থেকে পাঠানো তার স্বাক্ষর করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমি বেগম রওশন এরশাদ এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, পার্টির সিনিয়র নেতাদেরপরামর্শ এবং সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’ কিন্তু রাতে আমাদের সময়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি দলের চেয়ারম্যান নন, দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন।দুপুরের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তারিখে দেওয়া দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সাতজন নেতার স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, দলটির সংকট উত্তরণের জন্য এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, নাসরিন জাহান রত্না, শফিকুল ইসলাম সেন্টু বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে তিনজন- ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা ও রওশনকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের বিষয় অস্বীকার করেন।অন্যদিকে হঠাৎ দলের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি বর্তমান চেয়ারম্যান দুপুরে জিএম কাদেরকে অবহিত করা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। দল একটা রীতিনীতির মধ্যে চলে। কেউ একজন একটা দাবি করলেই হয়ে যায় না। এসব হাস্যকর।’দুপুরে রওশনকে চেয়ারম্যান ঘোষণার পর আমাদের সময়ের সঙ্গে কথা হয় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই খবর ভুয়া। আমাদের দলের গঠনতন্ত্রে এভাবে কারও চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ নেই। যাদের স্বাক্ষর করার কথা বলা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলছে, তাদের ব্লাকমেইল করা হয়েছে। গত বছর রওশন এরশাদ চিকিৎসা শেষে যখন দেশে এসেছিলেন, তাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তখন এসব স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। কোনো সভায় তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেনি।’জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আমার মনে হয় কিছু ব্যক্তি, যারা নাকি দল থেকে বহিষ্কৃত, তারা ম্যাডামের (রওশন এরশাদ) নামটা ব্যবহার করে এ রকম একটা ফেক নিউজ দিয়েছে। আমি সারাদেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধ করব এবং সাধারণ মানুষকে বলব যে, এ ধরনের কোনো ঘটনা জাতীয় পার্টিতে ঘটেনি এবং ঘটার কোনো সুযোগ নেই। ম্যাডাম আমাদের দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।’রাতে দলের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রওশন এরশাদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি দলের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিইনি। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়েছি।’ সম্মেলন প্রস্তুতি চলাকালে দলের দায়িত্ব কে পালন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি দলের বর্তমান চেয়ারম্যান (জিএম কাদের) পালন করবেন।’এ বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘শুনেছি এ ধরনের একটা প্রস্তুতি কমিটি তারা আগেই করেছিলেন। তবে তাদের কোনো কাজের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’এদিকে গত ২০ আগস্ট ভারতের দিল্লি যান জিএম কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের শরীফা কাদের ও মাশরুর মাওলা। কাদের আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবেন বলে জানা গেছে।এর আগে ১৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। এ সময় তার ছেলে সাদ এরশাদ এমপি, রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, মুখপত্র কাজী মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের দেখা করা এবং জিএম কাদেরের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা ডালপালা গজাতে যখন শুরু করেছে, তখন রওশনের নতুন সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার নতুন খোরাক জুগিয়েছে।গতকাল দুপুরে রওশনকে চেয়ারম্যান করে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের পর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে জিএম কাদেরের পক্ষে মিছিল করেন তার অনুসারীরা। অন্যদিকে রওশনপন্থিরা প্রকাশ্যে না এলেও দলটির নেতৃত্ব বদলের জন্য যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।রওশনপন্থিদের ভাষ্য- জিএম কাদের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের দায়িত্ব নিলেও তার দায়িত্ব গ্রহণের মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পক্ষ থেকে সম্মেলনের আহ্বান না আসায় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এই দায়িত্ব নিয়েছেন। রওশনের অনুসারী একজন নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই দলের সম্মেলন করে নেতৃত্ব পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80906e9b , আমাদের সময়," ২৪ আগস্ট ২০২৩,"," নির্বাচন অফিসে গিয়ে ছেলে জানলেন, তার বাবা মৃত!"," আবদুল লতিফ মাতাব্বর জীবিত থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত। তার ছেলে ভূমি অফিসে জমির খাজনার টাকা অনলাইনে জমা দিতে গিয়ে দেখেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নিচ্ছে না। পরে তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তিনি বাবার মৃত্যুর তথ্য আবিষ্কার করেন।জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো ৭৮ বছরের বৃদ্ধ আবদুল লতিফ মাতাব্বরের বাড়ি বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।আবদুল লতিফের বড় ছেলে মো. ফোরকান হোসেন বলেন, ‘ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে দেখি, বাবার আইডি কার্ড শো করছে না। ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, বাবার আইডি নম্বর ২০১৭ সালে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।’ফোরকান হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচন অফিস বাবার হাতের ছাপ নিয়ে আবেদন করেছে। ভোটার আইডির জন্য বাবা করোনার টিকাও দিতে পারেনি।’এ বিষয়ে ভোটার হালনাগাদকারী উৎপল দে বলেন, ‘২০১৭ সালে ভোটার হালনাগাদের সময় ভুলবশত এটি হয়েছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তার হাতের ছাপ নিয়ে আবেদন করেছি। দ্রুত তার আইডি কার্ডটি ঠিক হয়ে যাবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8089250d , আমাদের সময়,"২১ আগস্ট ২০২৩, ", আবার একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা হচ্ছে," পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দলীয় বক্তব্য প্রদানের ঘটনা একতরফা নির্বাচনের আলামত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রেজাউল করীম রানা ও অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবার নাকি উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একজন কর্মকর্তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের ওই কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে ইনি কি পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, নাকি শাহবাগ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক- এটার কোনো পার্থক্য করতে পারিনি।তিনি বলেন, যখন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা হাছান মাহমুদের (তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী) ভাষায় কথা বলেন, যখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলেন, তাহলে আগামী নির্বাচন কী ভয়ংকর নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে ভোটাররা যেতে পারবে না, ওই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ দূরে থাক, প্রতিযোগিতা দূরে থাক, ওই নির্বাচন হবে একতরফা আরেকটা অভিনব নির্বাচন। এই নির্বাচনের প্রক্রিয়ার আলামত হচ্ছে শনিবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দলীয় বক্তব্য প্রদান।রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একতরফা নির্বাচন, আবার একটা ম্যান্ডেটবিহীন নির্বাচন করার একটা বড় ধরনের নীল নকশা তৈরি করছেন।রিজভী বলেন, গোটা বিশ্ব থেকে আওয়ামী সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার সাথে কেউ নেই। হয়তো দুই-একটা দেশ থাকতে পারে। তিনি বলেন, এরকম শোনা যায় যে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কোনো মন্ত্রী পাশের দেশের কলকাতার সাংবাদিকদের নাকী দুই টন ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। আমরা জানি না এই ঘটনা কতটুকু সত্য। তবে এইরকম জনশ্রুতি আছে যে, যাতে এই অবৈধ সরকারের পক্ষে লেখালেখি করা যায়। কিন্তু ভারত তো একটি গণতান্ত্রিক দেশ ওখানে বিবেকসম্পন্ন অনেক সাংবাদিক আছেন। দুই-একটাকে হয়তো কেনা যায় কিন্তু সবাইকে তো কেনা যায় না। মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানান রিজভী। মানববন্ধনে মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, হুমায়ুন ইসলাম খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a808be0cd , আমাদের সময়,"২২ আগস্ট ২০২৩, ", জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ককে এবি পার্টি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ সরকার," বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ^াসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের করতে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। গতকাল সোমবার গুলশানে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠকে দলটির একটি প্রতিনিধি দল এ কথা জানান। পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন বা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা, এবি পার্টিররাজনৈতিক অবস্থানসহ নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া এবং এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ছাড়াও ঢাকা দপ্তরের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান উপস্থিত ছিলেন।পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবি পার্টি বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে। এতে বলা হয়েছে, বৈঠকে সামনের দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতায় এটা বারবার প্রমাণ হয় যে, দলীয় সরকার কখনই একটি বিশ্বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না।ঢাকা-১৭ আসনের সাম্প্রতিক উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রতিনিধি দলটি আবাসিক প্রতিনিধিকে গত বছরের ডিসেম্বরে এবি পার্টি ঘোষিত দুই দফা দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করা হয়েছিল। আশা করা যায়, এতে সব প্রধান রাজনৈতিক দল সম্মত হবে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমান জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এর থেকে উত্তরণ এবং পরবর্তী নতুন প্রজন্মের রাজনীতি ও এর বিপরীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানার যে আগ্রহ, এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান। এবি পার্টি পুরনো ধারার গতানুগতিক বংশপরম্পরার রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি নীতিভিত্তিক, সমস্যা সমাধানের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরে।’গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এবি পার্টি বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ এবং সমাবেশের সময় দেশজুড়ে ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে দলীয় উদ্বেগ তুলে ধরে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা এবং অন্য একটি বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে এটা প্রতিস্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, এটা চোখে ধুলা দেওয়ার একটি অপপ্রয়াস এবং নতুন বোতলে পুরনো মদ উপস্থাপনের উজ্জ্বল নজির।’জাতিসংঘের প্রতিনিধি নির্বাচনপরবর্তী সংস্কার সম্পর্কে এবি পার্টির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করলে এবি পার্টি প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও খসড়া পলিসিসমূহ তুলে ধরে রাষ্ট্র সংস্কারের নীতিসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a80824602 , আমাদের সময়,"১৮ আগস্ট ২০২৩, ",বিএনপি নির্বাচনে না এলে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে," আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপি আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজৈর উপজেলার আছমত আলী খান অডিটরিয়ামে উপজেলা পরিষদ আয়োজিত গণভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় শাজাহান খান বলেন, জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন হয়ে যাবে। বিএনপির জন্য নির্বাচন অপেক্ষা করে বসে থাকবে না। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেই আওয়ামী লীগ ঘরে ফিরবে বলেও জানান দলের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। এ সময় রাজৈর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্যের স্থানীয় প্রতিনিধি আফম ফুয়াদ, রাজৈর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন সাহা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা হাসান পল্লবী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নুরজাহান পারুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ষরাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8083da44 , আমাদের সময়,"১৮ আগস্ট ২০২৩, ", বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়: আমু," আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে। তারা নির্বাচনে ভিতু। তারপর থেকে কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করছে না।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।আমির হোসেন আমু বলেন, ‘নির্বাচনে তোমরা আসবা না, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তোমরা কর নাই, ভিত ছিলা। তোমরা নির্বাচনকে ভয় পাও। নির্বাচন দিয়ে জিয়াউর রহমান কোনদিন ক্ষমতায় আসে নাই। তোমরাও আসতে পারবা না। তার জন্যই নির্বাচন নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র। অনির্বাচিত সরকার দিয়ে, এ দেশকে আবার পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা। যেটা হতে দেওয়া যাবে না।’আমু আরও বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আমাদের আহ্বান। সবাই যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে। কোনদিন জনস্রোতের বিরুদ্ধে কারচুপি করা যায় না। এটা নির্বাচনের ইতিহাস। যতবড় সমর্থক হোক প্রশাসন কোনদিন জনস্রোতের বিরুদ্ধে যায় না।’তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেকগুলো জোট আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত। ৫৮ দলীয় জোটের একটি সভা প্রেসক্লাবে হয়েছে। আরও কয়েকটি দলের সভা হচ্ছে। আগামীতেও হবে। এদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতি জনস্রোত তৈরি হয়েছে সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের মধ্য দিয়ে সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8084ae3b , আমাদের সময়,"১৯ আগস্ট ২০২৩, ", টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনে ব্রিফিং মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা," বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ঘটনা তদন্ত করে সরকার নিরপেক্ষ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না বলে মনে করেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্যানেল বক্তারা। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার কমিশনের এক ব্রিফিংয়ে প্যানেল বক্তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, মানবাধিকারকর্মীসহ বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। এসব বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। গত মঙ্গলবার ‘হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ : অ্যান আপডেট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি পরিষদের এই সংস্থা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রচার, সুরক্ষা ও সমর্থনে কাজ করে।তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশে ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশগুলো সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবং বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ প্রায়ই দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে। ব্রিফিংয়ের আয়োজক কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য জেমস পি ম্যাকগভর্ন ও রিপাবলিকান সদস্য ক্রিস্টোফার এইচ স্মিথ। তারা এই কমিশনের কো-চেয়ারম্যান। ব্রিফিংয়ের সঞ্চালনায় ছিলেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিদেশি আইনবিশেষজ্ঞ তারিক আহমেদ।জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ফেলো ক্রিস্টি উয়েদা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্ল্যাকনার ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামসের ভিজিটিং এক্সপার্ট জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড।ব্রিফিংয়ের শুরুতেই সঞ্চালক তারিক আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প হিসেবে বর্ণনা করেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, দেশটি রেকর্ড সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য কমিয়েছে। চার দশকের মধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক সাফল্য সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ক্ষমতার ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীভূতকরণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। বিশেষজ্ঞসহ আন্তর্জাতিক-দেশীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো গত এক দশকে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণের কথা সামনে এনেছে। ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ। কিন্তু একটি বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিকে সরকার কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশিদের যে মূল্য গুনতে হচ্ছে, তার মাত্রা কমিয়ে আনতে হিউম্যান রাইটস কমিশনকে পূর্ণ শক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিটিগেশনবিষয়ক ফেলো ক্রিস্টি ইউয়েদা বলেন, আমরা মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে তদন্ত এবং খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ এবং কার্যকর জবাবদিহিতার পদক্ষেপ গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা একই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও তিনি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়টাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গণতন্ত্রকে কার্যকর করার জন্য নাগরিক স্বাধীনতার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্ল্যাকনার বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এবং গুম কমে যাওয়া এই বার্তা দিচ্ছে যে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে পারে। গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণœকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তবে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সহিংসতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে যে দাবি করছে, তা বিশ্বাস না করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাংলাদেশি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক দেশটির সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮ সালের) খুবই ত্রুটিপূর্ণ, সহিংসতাপূর্ণ ও অনিয়মে ভরা ছিল বলে মনে করেন। যে দলই জয়লাভ করুক না কেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a8087e349 , আমাদের সময়,২০ আগস্ট ২০২৩ ," নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্ত্র সংগ্রহ করছে ছাত্রদল, দাবি পুলিশের"," আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ছাত্রদলের ছয় নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী।তিনি বলেন, ‘গতকাল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রদলের ছয়জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ ডিবির গুলশান বিভাগ। তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুটি পাবনা ও একটি টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেন তারা।’খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে এই পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথপোকথনের সূত্রে কাদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সেই তথ্য জানা গেছে। অস্ত্র সরবরাহকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।’আরও পড়ুন: গভীর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আব্বাস-গয়েশ্বরগ্রেপ্তার ছয়জন হলেন‒ ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১), ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.আরিফ বিল্লা (৩০), ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) ও ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯)। তাদের কাছ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।তাদের গ্রেপ্তার সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে আমরা কয়েকটি মোবাইল জব্দ করেছি। তাদের মোবাইলেও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ছবিও মোবাইলে পাওয়া গেছে। যাদের কাছে থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেছে তাদের নাম-ঠিকানাও পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বিএনপি নেতা রবিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগপুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। আজ আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এতে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় শুক্রবার এই ছাত্রদলের নেতাদেরকে ডিবি তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘মামলার এজাহারে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেভাবেই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/018a808881c3 , আমাদের সময়,২০ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনের আগে মাঠ খালি করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে সরকার: মির্জা ফখরুল," নির্বাচনের আগে মাঠ শূন্য করতে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতাদের গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে বিভিন্ন অস্ত্র মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই অভিযোগ করেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে পরিপ্রেক্ষিত তাতে এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, তারা (সরকার) যেভাবেই হোক সকল শক্তি প্রয়োগ করে ও অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেনো তারা আবার সেই ক্ষমতা দখল করতে পারে। এদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া। এটাই হচ্ছে তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষে তারা এগুচ্ছে।পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অভিযোগ বানোয়াট উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিবির সংবাদ সম্মেলন একদম বানোয়াট। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। কিছুক্ষণ আগে আমি বলেছি, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের বক্তব্য পলিটিকাল। তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের অবস্থা কি। ক্ষমতাসীন দল সন্ত্রাসী পার্টি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। তারা নিজেরাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। আর পুলিশ এই অবৈধ সরকারের হুকুম-নির্দেশে তারাও সন্ত্রাসী কাজ করছে। যেটাকে আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলি।’তিনি আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি যত সংস্থা আছে তারা একইভাবে কাজ করছে। আমাদের কাছে কিছু ডকুমেন্ট আছে যেগুলো আমরা প্রয়োজন হলে দেখাব। যাতে বিচারকদের বলা হচ্ছে তাড়াতাড়ি মামলা শেষ কর, এতো তারিখের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে। সাক্ষী না আসলে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসো। সাক্ষী দেওয়া একটা ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে পুলিশি নির্যাতন অন্যদিকে বিচারে দ্রুত সাজা দেওয়ার ভয়াবহ কর্মসূচি তারা নিয়েছে। লক্ষ্য একটাই তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।’বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলি, হামলা এবং নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত রাতে সাদা পোষাকে পুলিশ ঘেরাও করে রাখা ও সেখান থেকে বের হবার পর মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ কয়েকজনকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও গত ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল রিয়াদ, এফ রহমান হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ বিল্লাহকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে পরে অস্ত্র মামলায় আসামি করার ঘটনাগুলো তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।মহাসচিব আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ সময় একটা সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিবি। সেই ব্রিফিংয়ে অস্ত্রগুলো দেখান হয়েছে। এটা কোনো প্রাগ ঐতিহাসিক যুগের অস্ত্র ছিল। এটা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। একেবারেই পুরনো। তারা বলছে বিএনপি এখন নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অস্ত্র যোগাড় করছে। এটা ইন্টারেস্টিং পার্ট। অর্থাৎ তারা এখন এইভাবে পুরোপুরি পলিটিকাল একটা পার্টির পক্ষে কথা বলছে। আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/000000070134 , আমাদের সময়,"১৬ আগস্ট ২০২৩, "," বিদেশিদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি: প্রধানমন্ত্রী"," বিদেশিদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন নয়, তারা উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন নির্বাচন নিয়ে অনেকে উতলা হয়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- ২০০১ সালে যখন আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, তখন তো নির্বাচন নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা ছিল না। ৯৬ সালে খালেদা জিয়ার বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে তো তাদের এমন চেতনা দেখিনি। খালেদা জিয়ার ভুয়া ভোটার নিয়েও তো তাদের কোনো উদ্বেগ দেখিনি।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশের যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাল, তাদের সঙ্গে বসতে হবে কেন? আমার মনে হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা তাদের পছন্দ না। এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র না। এরা উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়।’কয়েক বছর আগে করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। আমি তাদের ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) দেখেছি, গভর্নমেন্ট অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল। তাদের বলেছি- আমি এমন দেশ থেকে এসেছি, যেখানে গভর্নমেন্ট অব দ্যা আর্মি, বাই দ্যা আর্মি, ফর দ্যা আর্মি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে নানা রকম চক্রান্ত আছে। অনেকে এটিকে ব্যবহার করতে চায়। আর এখানে বসে আশপাশে আক্রমণ করবে। আমাদের কিছু আঁতেল আছে। তারা এসব চিন্তা করে কি না, জানি না। কিছু উপলব্ধি না করেই দুটো পয়সার পাওয়ার আশায় এদের সঙ্গে সুর মিলায়। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আর আগেও গ্যাস বিক্রির কথা আসছিল, আমি বলেছিলাম- দেশের স্বার্থ বেঁচে ক্ষমতায় আসতে হবে, এত ক্ষমতালোভী আমি না। আমার বাবাও এমন ছিলেন না।’নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের একজন কুলাঙ্গার সুদখোর আছে। শ্রমিকের অর্থ মেরে খায়, ট্যাক্স দেয়নি। গরিব থেকে উচ্চ সুদে টাকা নিয়ে মেরে দিয়ে বিদেশে পাচার করে। এটাই তো কথা। উনি তাদের প্রিয় ব্যক্তি। আর আমরা কাজ করি, মানুষের কল্যাণে।’১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও এর বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না, এটাই বাস্তবতা। ভেবেছিল কোনোদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এ দেশের মানুষকে। ২১ বছর পর তাদের সমর্থনে ক্ষমতায় এসে সেই বিচারের উদ্যোগ নিই। ৩৫ বছর সময় লেগেছে বিচার পেতে। কিছু খুনির রায় কার্যকর হয়েছে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন জিয়া। এরশাদ এসেও তাদের পুনর্বাসন করেছে। ব্যারিস্টার মঈনুল খুনিদের নিয়ে দলও গঠন করে। এটা খুনিদের মদদ দেওয়া।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করে। জয় বাংলা স্লোগান বাদ দিয়ে জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে আসে। ইতিহাসই বিকৃতি করে। বাংলাদেশের মানুষের উন্নতির সব স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়। খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করল, জিয়াকে সেনাপ্রাধান বানাল।’তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মীর জাফর যেমন তিন মাসের বেশি থাকতে পারেনি, তেমনি মুশতাকও থাকতে পারেনি। জিয়া ক্ষমতা দখল করে। উর্দি পরে ক্ষমতারোহণ এবং পরে নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও চেষ্টা করে। আর্মি রুলস ভঙ্গ করে একটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করে। ভোট কারচুপি ও ভোটচুরি তো সেখান থেকে শুরু। এরপর বিএনপি নামক সেই দল করে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়।’স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FFFD , আমাদের সময়,"১৪ আগস্ট ২০২৩, ", রেদোয়ান আহমদের কারাদণ্ড নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতার অপচেষ্টা: অলি," সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়’ দিয়ে প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।এলডিপির মহাসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকে আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অলি আহমদ এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ওয়ান-ইলাভেন সরকার দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতাসহ দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-নেত্রীদের মামলা প্রত্যাহার করলেও কণ্ঠরোধ করতে বিরোধীদের মামলা প্রত্যাহার করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় এখন এসব মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।অলি আহমদ আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ছিল না। সুতরাং রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রযোজ্য না।এলডিপির সভাপতি বলেন, সরকারিভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা আইনসম্মত নয়। অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ নির্দোষ। তাছাড়া অভিযোগকারী জনৈক নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানের সময় রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনেননি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এই অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন।এদিকে, এই রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড দিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় নির্বাচনের আগে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে। অবৈধ সরকারের অনাচার ও সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে জনস্রোত দেখে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তমূলক নীলনকশার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এ ধরণের সাজা বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাদের দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যায় অবৈধ সরকার গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে। আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সরকার পথের কাঁটা সরানোর জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তারের পর এখন মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রতিহত করতে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/000000070011 , আমাদের সময়,১৫ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনে প্রার্থীশূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে," সরকার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়’ দিয়ে প্রার্থীশূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দলীয় মহাসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকে বিচারিক আদালত তিন বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদ-ের ঘটনায় গতকাল সোমবার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এমন অভিযোগ জানান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদ।তিনি বলেন, বিগত সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন সরকার দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতাসহ দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের নেতানেত্রীদের মামলা প্রত্যাহার করলেও কণ্ঠরোধ করতে বিরোধীদের মামলা প্রত্যাহার করেনি। গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে- যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিতও ছিল না। সুতরাং রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক্ষেত্রে দ-বিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা প্রযোজ্য নয়।এলডিপি সভাপতি বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তা ছাড়া অভিযোগকারী জনৈক নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানকালে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযাগ আনেননি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এ সমস্ত অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দেন।এদিকে এ রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকার কর্তৃক বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদ- প্রদানের ঘটনায় প্রমাণিত হয়, নির্বাচনের প্রাক্কালে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তমূলক নীলনকশার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে এই দ- দেওয়া হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/0000000700AB , আমাদের সময়,১৬ আগস্ট ২০২৩ ,নির্বাচনের ফল পাল্টে ফেলার চেষ্টা এবার জর্জিয়া রাজ্যে অভিযুক্ত ট্রাম্প ," ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলেও সেই ফল মেনে নিতে অস্বীকার করে উপরন্তু তা পাল্টে ফেলার চেষ্টা করার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এই অপরাধে সোমবার তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন জর্জিয়া রাজ্যে। একই অপরাধে ১ আগস্ট তাকে অভিযুক্ত করেছিলেন ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় আদালত। এ নিয়ে মাত্র চার মাসে চারবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন এই রিপাবলিকান নেতা। তবে তিনি প্রতিবারই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা বলছেন, এসব মামলা, তদন্ত ও বিচার সবই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।বিবিসি নিউজের গতকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়া রাজ্যে ট্রাম্প ছাড়াও একই অপরাধে আরও ১৮ জন অভিযুক্ত হয়েছেন। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনীত ১৩টি অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।জর্জিয়ার কৌঁসুলি ফানি উইলিস ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ২৫ আগস্ট দুপুরের মধ্যে অপরাধীরা যেন নিজ থেকেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। এ বছর মার্চের শেষদিকে একজন পর্নো তারকাকে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে চুপ থাকার শর্তে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে ট্রাম্প প্রথম অভিযুক্ত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এরপর জুনে ফ্লোরিডায় তিনি অভিযুক্ত হন সরকারি নথি অব্যবস্থাপনার অপরাধে। তবে আল জাজিরার গতকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের তিনবারই অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজ দলের ভেতর ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। এমনকি অভিযুক্ত হওয়ার পরপরই ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারশিবিরের তহবিলে অর্থের জোগান পড়েছে অনেক বেশি। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের মধ্যে দেখা যায়নি।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/0000000700D5 , আমাদের সময়,১৬ আগস্ট ২০২৩ ," মতবিরোধ আছে আওয়ামী লীগে, নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে বিএনপি"," গাজীপুর-৪ আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। জাতীয় চার নেতার অন্যতম দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মস্থান হিসেবে এ উপজেলার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে সারাদেশে। এ ছাড়া দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রভাবশালী প্রয়াত নেতা হান্নান শাহর জন্মও এ উপজেলায়।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কাপাসিয়ায় সরব আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশায় সক্রিয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। অন্যদিকে এখনো নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে বিএনপি। তবে ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী মাঠ গোছাচ্ছেন দলটির নেতারা। এ ছাড়া মাঠে রয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও।গাজীপুর-৪ আসনে ১৯৯১ সালে বিএনপির প্রয়াত নেতা হান্নান শাহ আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আফসার উদ্দিন আহমদ। ২০০১ সালে তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।পরে দলের সঙ্গে মতবিরোধে তিনি প্রথমে প্রতিমন্ত্রী, পরে সংসদ সদস্য পথ থেকে পদত্যাগ করলে ২০১২ সালে শূন্য হওয়া আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তারই বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ও ২০১৮ সালে তৃতীয়বার তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সিমিন হোসেন রিমিকে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়।স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিমিন হোসেন রিমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর দলের উপজেলা সভাপতি বানানো হয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি (শহীদুল্লাহ) দলের বিভিন্ন ইউনিটে তার লোকজনকে পদে আনেন। দলের অনেক ত্যাগী কর্মীরা থাকেন উপেক্ষিত।এমপি সিমিন হোসেন রিমির নেতৃত্বে শহীদুল্লাহ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন আওয়ামী লীগে। এ কারণে এমপি ও শহীদুল্লাহর বলয়ের বাহিরে আরও একটি বলয় তৈরি হয়। এ বলয়টি রাজনীতির মাঠে রিমির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান না নিলেও তাদের অনুসারীর সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সে বলয়ে আছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি আলম আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান। তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিত করে রেখেছেন তারা।২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার মোল্লাকে হারতে হয়েছিল বিএনপির প্রার্থীর কাছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলীয় কোন্দলের কারণেই এ হার দেখতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। অবশ্য ২০২২ সালে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে চলছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান। আলম আহমেদ একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।দল মনোনয়ন দিলে প্রার্থী হবেন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। আমাদের চাওয়া হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় থাকে। নৌকা যার, তার হয়েই আমরা কাজ করি সবসময়। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করে সব অপচেষ্টার জবাব দিতে আমরা কাপাসিয়ার লোকজন প্রস্তুত। এতে কে কী বলল তাতে আমরা বিচলিত নই।কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান বলেন, গ্রুপিং বা কোন্দল যাই বলুন না কেন জাতীয় নির্বাচনে এসব বিষয় তেমন কাজ করে না। আমরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করব।সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমার আসনে তৃণমূল হতে ওপর পর্যন্ত কোথাও কোনো দলীয় কোন্দল নেই। নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হয়। এলাকার উন্নয়নে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় এলাকায় থাকি। একসময়ের অবহেলিত এ উপজেলার সর্বস্তরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এ উপজেলায় মা ও শিশুমৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় এসেছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতায় আবারও এ আসন থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।একসময়ে এ আসনের বিএনপি কা-ারী ছিলেন সাবেক মন্ত্রী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত হান্নান শাহ। তার মৃত্যুর পর দলের হাল ধরেছেন তার ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান। তিনি গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। শাহ রিয়াজুল হান্নান আমাদের সময়কে বলেন, আমরা তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি। নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দল নির্বাচনে গেলে আর আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি এ আসন থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি।আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে এ আসনে নির্বাচনের জন্য তৃণমূলে গণসংযোগ করছেন গণতন্ত্রী পার্টির হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মানবেন্দ্র দেব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FF84 , আমাদের সময়,"১৪ আগস্ট ২০২৩, ",নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে: নানক ," বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার কোনো পথ আছে কিনা সেই জিজ্ঞাসাও ছিল তাদের। পাশাপাশি তারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হতে পারে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নির্বাচন আয়োজন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করেন তারা।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক হয় মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের। এ সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ উঠে আসে; নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়েও আলাপ হয়।গতকাল দুপুরে প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বৈঠক করেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক। তারা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছেন, সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার কোনো পথ আছে কিনা। মন্ত্রী বলেন, আমরা জানিয়েছি বিএনপির যে দাবি সরকারের পদত্যাগ, সেক্ষেত্রে সমঝোতার সুযোগ নেই। আমি পাল্টা প্রশ্ন রেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করে কিনা?রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা কংগ্রেসম্যানরা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, রিপাবলিকান একজন বললেন, আমরা সবসময় সমঝোতায় যাই। আমরা বলেছি, সমঝোতা করার মতো দাবি-দাওয়া তো এখানে নেই। আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের উল্টা দল (বিএনপি) তো নির্বাচনের খবরই রাখে না। তারা চায় সরকারের পতন। সরকার পতনের ইস্যু সংলাপে যাওয়ার মতো কোনো টপিক নয়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (কংগ্রেসম্যানরা) নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বললাম, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নিজের তাগিদে আমরা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও অঙ্গীকার করেছেন। কারণ আমরা জনগণের সমর্থনে আছি। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাস করে, নির্বাচনমুখী দল। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা থাকলে সুষ্ঠু এবং সহিংসতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব।তিনি বলেন, যতগুলো দল আছে সব দল যদি নির্বাচনে যোগদান করে; তারা যদি আন্তরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়; অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতা ছাড়া নির্বাচন চায় তাহলে নির্বাচন সহিংসতা ছাড়া হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, এখানে নির্বাচন তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ওখানকার চেয়ে ভালো হয়। তোমাদের ওখানে লোকে ভোট দেয় না। আমাদের এখানে অধিকাংশ লোক ভোট দেয়। তোমাদের ওখানে লোক নির্বাচনে দাঁড়ায় না। এখানে একটা নির্বাচনে কয়েকশ লোক দাঁড়ায়। ওটা নিয়ে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে কিনা জানতে চেয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা চীনা ঋণের ফাঁদে যাচ্ছি না।সাংবাদিকরা জানতে চান, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিক সমস্যা নিয়ে কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে? আলোচনায় চীনের প্রসঙ্গ এসেছে কিনা?জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,ওদের কাছে বিভিন্ন লোকজন বলেছে, বাংলাদেশ একটা ভয়ংকর জায়গা। এরা চীনের খপ্পরে পড়ে গেছে। চীনের গোলাম হয়ে গেছে।মন্ত্রী বলেন, চীন নিয়ে তারা (কংগ্রেসম্যানরা) বলেছে, তোমরা চীনের ভেতরে চলে যাচ্ছ। আমরা বলেছি, আমরা চীন থেকে ঋণ নিয়েছি এক পার্সেন্টের মতো। এটা কোনো বড় ইস্যু না। মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা অবাধ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে মোমেন বলেন, আলোচনা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে যে আউটলুক তৈরি করেছি, সেটা বলেছি। আমরা চাই ফ্রি, ফেয়ার, ইনক্লুসিভ ও সিকিউরড ইন্দো-প্যাসিফিক। ফ্রি নেভিগেশন চাই। সবাই সমৃদ্ধ হবে, এমন ইন্দো-প্যাসিফিক আমরা চাই।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় দুই কংগ্রেসম্যান বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলি, বিএনপির পক্ষ থেকে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব) রানা মোহাম্মদ সোহেল আলোচনায় অংশ নেন।সূত্র জানায়, তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এক টেবিলে আলোচনায় বসেন। সেখানে প্রত্যেকেই তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা জানান, সংবিধান অনুযায়ী সরকার ও আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। সেটি শুধু কথার কথা নয়, আমরা করে দেখাব। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে বাধা ও সহিংসতা চায় না, আমরাও চাই না। আওয়ামী লীগের তরফে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার যে সুযোগ নেই, সেটিও স্পষ্ট করা হয়। অন্যদিকে ন্যূনতম কী পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সে আলোচনায় দলটির প্রতিনিধি জানান, অবশ্যই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এ ছাড়া বৈঠকে সাবেক সংসদ সদস্য এ্যানি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি, রাজনৈতিক মামলায় নেতাকর্মীদের সাজা, আগামী নির্বাচন ও নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন বলে জানা গেছে। ২৮ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশ ও ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টিও তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দেন।বৈঠকে এ্যানি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ২০১৮ সালে আগের রাতে ভোট হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে।এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় দুই কংগ্রেসম্যানের। পিটার হাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আলোকচিত্র শিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শহীদুল আলম বলেন, ঘরোয়া আলাপ ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে অনেকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেসব কথা উঠেছে। আমাকে যে আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তা নিয়ে এখনো আমি ভুগছি, আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আর্টিকেল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ফারুক ফয়সাল বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত করার লক্ষ্যে কী করা দরকার সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসা করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল কি-না। আমরা বলেছি বাংলাদেশে আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, এখন নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না, সেটা রাজনৈতিক দল বলতে পারবে বলে জানিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে সব রাজনৈতিক দলের সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করেন ফারুক ফয়সাল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FFE2 , আমাদের সময়,"১৪ আগস্ট ২০২৩, ",কংগ্রেসম্যানরা জানতে চান নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কীভাবে ," বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্যে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আজ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুককে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা জানান।নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও ৫০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাসহ তার প্রাণনাশের ১৯টি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে তাদের বিজয় উদযাপন করেছিল। সন্ত্রাসের রাজত্ব জারি করে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি সারাদেশে গ্রামে গ্রামে ধর্ষণ ও লুটপাট করেছিল। আমরাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি ও গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।’প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ মনোযোগ মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনকে ত্বরান্বিত করবে।যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও তাদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। যাতে তারা তাদের মিয়ানমারে ফিরে পুনরায় কর্মসংস্থান করতে পারে।বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও আঞ্চলিক বিষয়ের মতো বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং সম্পর্ক আরও সুসংহত করারও আশা প্রকাশ করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FF33 , আমাদের সময়,"১৩আগস্ট ২০২৩, ",নির্বাচন নিয়ে দুই কংগ্রেসম্যানকে যা জানাল বিএনপি ," দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশ সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে জানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদের সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্যের চা চক্রে এ কথা জানায় বিএনপি।আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসভবনে এ চা চক্র শেষে দলটির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তারা জানতে চাইলে আমরা বলেছি, একদলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে। গত নির্বাচনেগুলো একদলীয়ভাবে হয়েছে, সুষ্ঠু হয়নি।এ্যানি আরও বলেন, ‌‘আমরা সবসময় ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চেয়েছি। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচন এক দলীয় নির্বাচন হয়েছে। কোনো ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী এবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FDA6 , আমাদের সময়,"১২ আগস্ট ২০২৩, ",রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলে বক্তারা এবার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে দেওয়া হবে না ," সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকার প্রবেশদ্বারে অবস্থান কর্মসূচির পর ১২ দিন বিরতি দিয়ে রাজপথে আবারও বড় কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল করে দলটি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মালিবাগ রেলগেট থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।বেলা ২টায় বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গণমিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টায় কর্মসূচি শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে গণমিছিলের সমাপ্তি টানা হয়। অপরদিকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কমলাপুর থেকে শুরু হওয়া গণমিছিল সাড়ে ৬টার দিকে মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন কাঁচাবাজারে গিয়ে শেষ হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জুমার নামাজের আগেই নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে নির্ধারিত স্থানের আশপাশে অবস্থান নেন। জুমার নামাজ শেষে খ- খ- মিছিল নিয়ে উত্তরের নেতাকর্মীরা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এবং দক্ষিণের নেতাকর্মীরা কমলাপুর মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম মার্কেটের পাশে অবস্থান নেন। মহানগর উত্তর : গতকাল গণমিছিল শুরুর আগে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাকে গণবিদায় করতে হবে। ওই গণভবনে পৌঁছাতে হবে, বঙ্গভবনে পৌঁছাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন যুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই তোমাদের (সরকারের) দিন শেষ। মানে মানে পদত্যাগ কর। তা না হলে রাজপথে ফয়সালা হবে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের স্বাধীনতার সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে দেশের বিচারব্যবস্থা। বিচারালয়ের ওপর ভর করে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। তাতে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। নতুন দুটি দলকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ এই দুই দলকে চেনে না। এদের দিয়ে সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। এবার এ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। এবারের লড়াই হচ্ছে জীবন-মরণ লড়াই। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই লড়াই তখনই শেষ হবে, যখন শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। যখন আবার এ দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। সেই দিন এই লড়াই শেষ হবে। সেই লড়াইয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।’আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বক্তৃতার কিছু নাই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারবেন? সবাই ‘হ্যাঁ’ বলে জবাব দিলে তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করার জন্য আজকে পুরো বাংলাদেশ প্রস্তুত।’ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আমিনুল হক। এতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আরও অংশ নেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান। দক্ষিণ বিএনপি : কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশে গণমিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে কোনো হানাহানি নেই। কিন্তু সরকার মিছিল করা, অবস্থান করা ও কথা বলার অধিকারের মতো গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুনলাম উনি (সিইসি) নাকি ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করবেন। এ তফসিল ঘোষণা করবে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না, যে নির্বাচন কমিশন এই নিশিরাতের সরকারের নির্বাচিত কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে হুশিয়ার করতে চাই, সরকারি আদেশ মেনে আপনারা যে কাজ করছেন, অন্যায় করেছেন।’সমাবেশে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। তবে কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে কখনো কৃপণতা করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার কোনো পাতানো নির্বাচন করলে নেতাকর্মীরা সজাগ থাকবেন, তাদের উচিত জবাব দেবেন।’ ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের সময় শেষ। তাদের বিদায় নিতেই হবে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহম্মেদ রবিনের পরিচালনায় সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।দক্ষিণের এ গণমিছিলে অংশ নেওয়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের জহির উদ্দিন তুহিন প্রমুখ। মাঠে আসেন নিষ্ক্রিয় নেতারাও : ২৯ জুলাইয়ের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে দলের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গতকালের কর্মসূচির ব্যাপারে দলের সব পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশে শীর্ষ নেতৃত্বের কঠোর বার্তা ছিল। এ বার্তা বেশ কাজে দিয়েছে বলে মনে করে নেতাকর্মীরা, যার প্রতিফলন ঘটে গতকালের কর্মসূচিতে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলেন, সমাবেশ বা মহাসমাবেশ ছাড়া এর আগে এমন কর্মসূচিতে এত নেতাকর্মী একসঙ্গে দেখা যায়নি। গতকালের কর্মসূচিতে মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন এবং কমিটি থেকে বাদ পড়লেও শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেলর শোডাউনও ছিল উল্লেখযোগ্য। ছাত্রদলের শ্রাবণের অনুসারীদেরও গণমিছিলে দেখা গেছে। যানজট : এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গণমিছিল এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ঘর থেকে বের হওয়া মানুষকে ভোগান্তিকে পড়তে হয়। গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সংশ্লিষ্ট সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD90 , আমাদের সময়,"১১আগস্ট ২০২৩, ",বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের নজর বেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের প্রায় ২২টি দেশে কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের দিকে সবার নজর বেশি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতিযোগিতা।আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন একটি ফ্যাক্টর। চীনের ক্রমশ উন্নতি পছন্দ করছে না বিশ্বের অন্য বড়লোক দেশগুলো। তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চায়। এখন বাংলাদেশও অনেক উন্নতি করছে। ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশও বিশ্বের বড়লোক দেশগুলোর কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তাদের হেলা-খেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।’কিনি বলেন, ‘তারা (বিদেশিরা) বারবার আমাদের দেশে আসছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। যেকোনো প্রতিবন্ধকতা আমরা অতিক্রম করব।’আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচনে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে আবার ভোট দিয়ে জয়ী করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দল ও তাদের প্রবাসী সহযোগিরা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা হচ্ছে নালিশ পার্টি। তারা শুধু নালিশ করে আর তাদের সহযোগিতা করে আমাদের কিছু প্রবাসী।’এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD7D , আমাদের সময়,"১১আগস্ট ২০২৩, ",এবার নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল ," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের প্রায় ২২টি দেশে কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের দিকে সবার নজর বেশি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতিযোগিতা।আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন একটি ফ্যাক্টর। চীনের ক্রমশ উন্নতি পছন্দ করছে না বিশ্বের অন্য বড়লোক দেশগুলো। তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চায়। এখন বাংলাদেশও অনেক উন্নতি করছে। ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশও বিশ্বের বড়লোক দেশগুলোর কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তাদের হেলা-খেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।’কিনি বলেন, ‘তারা (বিদেশিরা) বারবার আমাদের দেশে আসছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। যেকোনো প্রতিবন্ধকতা আমরা অতিক্রম করব।’আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচনে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে আবার ভোট দিয়ে জয়ী করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দল ও তাদের প্রবাসী সহযোগিরা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা হচ্ছে নালিশ পার্টি। তারা শুধু নালিশ করে আর তাদের সহযোগিতা করে আমাদের কিছু প্রবাসী।’এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD4B , আমাদের সময়,"১১আগস্ট ২০২৩, ",নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক চুক্তি নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ," আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি সই করবে না। গতকাল নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান ও শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আব্দুর রশীদ।বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপের সময় জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি সই হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রকম চুক্তি করব বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আমাদের দেশে অনেক দিন থেকে এটা হয়ে আসছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এ সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে, এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার। এ সংস্কৃতি বন্ধে আমরা একটা সেমিনার করব। যুক্তরাষ্ট্র বলছে দুর্নীতি দমনে দেশটি নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকরে। দেশটির ব্যাংকে দুর্নীতি করে যেসব বাংলাদেশি অর্থ জমিয়েছে, তা জব্দের কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করে, আমরা খুব খুশি হব। কারণ তাদের দেশে একটি আইন আছে, বেশি টাকা নিয়ে গেলে কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়, তাদের নাগরিক হওয়া যায়। তিনি বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, অন্য দেশেও এ নিয়ম আছে। আর আমাদের দেশে যারা দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যান তা যদি জব্দ করা হয়, আমরা খুশি হব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FE58 , আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ ,"মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হলে যা মন চায় করেন "," বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হয় যা মন চায় তা করেন।’আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই পান থেকে চুন খসলে আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, চুন থেকে পান খসলেই ভিসানীতি দেবে এমন হুমকি ধামকি দেয়।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ। বিএনপি এটার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না। সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, সেখানে বিএনপি কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপির অন্তর্জ্বালা। পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে, তাদের মিছিল-সমাবেশে দৈর্ঘ্য বেড়েছে, প্রস্থ কমেছে।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষ মনে করে আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রু মনে করে। সেটার যাত্রা শুরু করেছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টসহ সব হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবার সদস্যরা।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FDFD , আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ ,তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে," সরকার পতনের একদফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা একাধিক রাজনৈতিক দল ও জোট। গণমিছিলে এসব দল ও জোটের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। মিছিলের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দল পুরোপুরি দেউলিয়া বলেই তাদেরকে বিরোধী দলের লেজুড়বৃত্তি করতে হচ্ছে, বিরোধী দলের পিছনে পিছনে হাঁটতে হচ্ছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৫ বছর ধরে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে। গুম, ক্রসফায়ার, মামলা, গ্রেপ্তার করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করেছে। লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। এখন সেসব তথ্য বের হয়ে আসছে; এরা কেউ ছাড় পাবে না। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার এখন পুলিশনির্ভর হয়ে দমন-নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত।ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, অতীতের স্বৈরশাসকরা যেভাবে বিদায় নিয়েছে, বর্তমান স্বৈরশাসককেও জনগণ সেভাবে বিদায় দেবে। বিকালে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন সড়ক থেকে গণমিছিল বের করে ১২ দলীয় জোট। মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাস্তব নয়। সবাইকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান। গণমিছিলের আগে পূর্ব পান্থপথে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এতে দলের প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে। মিছিলের আগে সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫টির বেশি আসন পাবে না। সে কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায় তারা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) নেতাকর্মীরা। এতে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ করে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘নিজেদের সেফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিন; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও একদফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। সকালে বিজয়নগরে বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে, এখন ধ্বংস করতে চায়। অতীতে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল, তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল।একই দাবিতে গতকাল রাজধানীতে গণমিছিল করেছে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণফোরাম (একাংশ) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FF37, আমাদের সময়,১৩ আগস্ট ২০২৩ ,নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে: নানক," আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে প্রতিহত করতে সময় নষ্ট করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।আজ রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‌‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।তিনি বলেন, ‘দেশে নির্ধারিত দিনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে যদি বানচাল করতে চান তার সমুচিত জবাব আমরা রাজপথেই দেব। এ ব্যাপারে আমরা সামান্যতম কার্পণ্যতা করব না। কারণ বিএনপি খুনির দল, হত্যাকারীর দল।’প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন- নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নাকি ১০টা সিটও পাবে না। বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য সরকার জঙ্গি গ্রেপ্তার করার নাটক করছে। এটা লজ্জাস্কর, এই কথা বলে মির্জা ফখরুল পরিচ্ছন্নভাবে জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। কাজেই এই জঙ্গিদের সঙ্গে আপনারাও জড়িত। কি কারণে জড়িত। কারণ দেশের নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য আপনারা এহেন কোনো কাজ নেই যে কাজ করছেন না।’অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ওই পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের লড়াই সংগ্রামের যে ইতিহাস তা মুছে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানোর নিষেধ করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান এই খুনের দায় এড়াতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে আমরা ৭৫’র খুনি মনে করি। তার অনুসারীরা (বিএনপি নেতারা) এখন বাংলাদেশে সেই অপরাজনীতি থেকে বের হতে পারেন।’বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তারা গড়তে দিতে চায় না। তারা বারবারই খুন হত্যার রাজনীতি করতে চায়। খুন- ঘুম- হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়। এই খুনিদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়তে হলেও আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। ওই পরাজিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।’স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ইতিহাস কথা কয় চিত্র প্রদর্শনীর চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ম. রাজ্জাক, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খাইরুল হাসান জুয়েল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদসহ আরও অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FF33, আমাদের সময়,১৩ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচন নিয়ে দুই কংগ্রেসম্যানকে যা জানাল বিএনপি," দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশ সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে জানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদের সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্যের চা চক্রে এ কথা জানায় বিএনপি।আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসভবনে এ চা চক্র শেষে দলটির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তারা জানতে চাইলে আমরা বলেছি, একদলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে। গত নির্বাচনেগুলো একদলীয়ভাবে হয়েছে, সুষ্ঠু হয়নি।এ্যানি আরও বলেন, ‌‘আমরা সবসময় ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চেয়েছি। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচন এক দলীয় নির্বাচন হয়েছে। কোনো ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী এবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FFFD, আমাদের সময়,১৪ আগস্ট ২০২৩ , রেদোয়ান আহমদের কারাদণ্ড নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতার অপচেষ্টা: অলি," সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়’ দিয়ে প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।এলডিপির মহাসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকে আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অলি আহমদ এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ওয়ান-ইলাভেন সরকার দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতাসহ দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-নেত্রীদের মামলা প্রত্যাহার করলেও কণ্ঠরোধ করতে বিরোধীদের মামলা প্রত্যাহার করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় এখন এসব মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।অলি আহমদ আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ছিল না। সুতরাং রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রযোজ্য না।এলডিপির সভাপতি বলেন, সরকারিভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা আইনসম্মত নয়। অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ নির্দোষ। তাছাড়া অভিযোগকারী জনৈক নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানের সময় রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনেননি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এই অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন।এদিকে, এই রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড দিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় নির্বাচনের আগে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছে। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে। অবৈধ সরকারের অনাচার ও সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে জনস্রোত দেখে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তমূলক নীলনকশার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এ ধরণের সাজা বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাদের দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যায় অবৈধ সরকার গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে। আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সরকার পথের কাঁটা সরানোর জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তারের পর এখন মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রতিহত করতে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FF37 , আমাদের সময়,১৩ আগস্ট ২০২৩ ,নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে: নানক," আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে প্রতিহত করতে সময় নষ্ট করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।আজ রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‌‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।তিনি বলেন, ‘দেশে নির্ধারিত দিনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে যদি বানচাল করতে চান তার সমুচিত জবাব আমরা রাজপথেই দেব। এ ব্যাপারে আমরা সামান্যতম কার্পণ্যতা করব না। কারণ বিএনপি খুনির দল, হত্যাকারীর দল।’প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন- নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নাকি ১০টা সিটও পাবে না। বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য সরকার জঙ্গি গ্রেপ্তার করার নাটক করছে। এটা লজ্জাস্কর, এই কথা বলে মির্জা ফখরুল পরিচ্ছন্নভাবে জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। কাজেই এই জঙ্গিদের সঙ্গে আপনারাও জড়িত। কি কারণে জড়িত। কারণ দেশের নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য আপনারা এহেন কোনো কাজ নেই যে কাজ করছেন না।’অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ওই পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের লড়াই সংগ্রামের যে ইতিহাস তা মুছে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানোর নিষেধ করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান এই খুনের দায় এড়াতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে আমরা ৭৫’র খুনি মনে করি। তার অনুসারীরা (বিএনপি নেতারা) এখন বাংলাদেশে সেই অপরাজনীতি থেকে বের হতে পারেন।’বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তারা গড়তে দিতে চায় না। তারা বারবারই খুন হত্যার রাজনীতি করতে চায়। খুন- ঘুম- হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়। এই খুনিদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়তে হলেও আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। ওই পরাজিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।’স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ইতিহাস কথা কয় চিত্র প্রদর্শনীর চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ম. রাজ্জাক, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খাইরুল হাসান জুয়েল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদসহ আরও অনেকে। ",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FE58, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ ," মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হলে যা মন চায় করেন"," বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হয় যা মন চায় তা করেন।’আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই পান থেকে চুন খসলে আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, চুন থেকে পান খসলেই ভিসানীতি দেবে এমন হুমকি ধামকি দেয়।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ। বিএনপি এটার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না। সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, সেখানে বিএনপি কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপির অন্তর্জ্বালা। পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে, তাদের মিছিল-সমাবেশে দৈর্ঘ্য বেড়েছে, প্রস্থ কমেছে।’তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষ মনে করে আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রু মনে করে। সেটার যাত্রা শুরু করেছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টসহ সব হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবার সদস্যরা।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FE56, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ ," আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা চলছে, আসতে পারে নির্বাচনী সিদ্ধান্ত"," আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকের জন্য নয়টি এজেন্ডা ঠিক করা হয়েছে। এজেন্ডাগুলো হলো- শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদ্‌যাপন (২৮ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জেলহত্যা দিবস (৩ নভেম্বর), নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর), ডা. মিলন দিবস (২৭ নভেম্বর), সমসাময়িক বিষয় (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), সাংগঠনিক বিষয় ও বিবিধ।এ ছাড়া বৈঠকে একগুচ্ছ নির্বাচনী দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে চলমান রাজনৈতিক ইস্যু, বিরোধী দলগুলোর লাগাতার আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। এ বৈঠক থেকেই নির্ধারণ হবে নির্বাচনী কৌশল।সভায় পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই গণভবনে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দায়িত্বে সাবেক ৩ আমলাসন্ধ্যায় আ. লীগের বৈঠক, আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FE50, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনের আগে কোনো দেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," আগামী নির্বাচনের আগে আর নতুন করে কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শনিবার দুপুরে সিলেটের শাহী ঈদগাহে আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মনে হয় না তড়িঘড়ি করে কোনো দেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে বাংলাদেশ। আর এতে দেশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। দেশ এখন একটি পজিশন নিয়ে আছে। আমরা ব্যালেন্স বৈদেশিক নীতি মেনে চলছি।’আসন্ন ব্রিকস সন্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘আয়োজকরা দাওয়াত দিয়েছে, মনে হয় প্রধানমন্ত্রী যাবেন। ব্রিকস যদি এ বছর নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত নাও করে তবু সেখানে গেলে অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’তিনি বলেন, ‘ব্রিকসের এই বড় অনুষ্ঠানে বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। যেখানে এতগুলো দেশের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, চীনের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী যাবেন। অনেক ধরনের আলাপ-আলোচনার জন্য এটা ভালো জায়গা। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন।’অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদেশি কোনো শক্তির পরামর্শে চলে না। আমরা একটা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা তার সবকিছুই করেছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD7D, আমাদের সময়,১১ আগস্ট ২০২৩ , এবার নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল," বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এরা (নির্বাচন কমিশন) নতুন দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। যে দল দুটি কেউ চেনে না। কারণ কি জানেন? এই আওয়ামী লীগ সরকার, এই দল দিয়ে নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। কিন্তু এবার সেই খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’আজ শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার থেকে গণমিছিল শুরুর আগে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর তার নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি রামপুরা হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের কাছে এসে শেষ হয়। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেটে এসে শেষ হয়। এর নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার আপনাদেরকে মরণপন লড়াই করতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যাই, দাবি আদায় ছাড়া আমরা থামব না।’সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভয়ভীতি জেল জুলুম করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিবাদ পরাজিত করা হবে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD90, আমাদের সময়,১১ আগস্ট ২০২৩ , বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের নজর বেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের প্রায় ২২টি দেশে কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের দিকে সবার নজর বেশি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতিযোগিতা।আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন একটি ফ্যাক্টর। চীনের ক্রমশ উন্নতি পছন্দ করছে না বিশ্বের অন্য বড়লোক দেশগুলো। তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চায়। এখন বাংলাদেশও অনেক উন্নতি করছে। ভৌগলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশও বিশ্বের বড়লোক দেশগুলোর কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তাদের হেলা-খেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।’কিনি বলেন, ‘তারা (বিদেশিরা) বারবার আমাদের দেশে আসছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। যেকোনো প্রতিবন্ধকতা আমরা অতিক্রম করব।’আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচনে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে আবার ভোট দিয়ে জয়ী করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দল ও তাদের প্রবাসী সহযোগিরা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা হচ্ছে নালিশ পার্টি। তারা শুধু নালিশ করে আর তাদের সহযোগিতা করে আমাদের কিছু প্রবাসী।’এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FDA2, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ , আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দায়িত্বে সাবেক ৩ আমলা," আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় এতদিন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এইচটি ইমাম। তার মৃত্যুর পর এখন কার কাঁধে এ দায়িত্ব পড়বে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। তবে দলটির একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব পেতে পারেন তিন আমলা- সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।দলকে ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় ডিজিটাল কক্ষ উদ্বোধন করে তৃণমূল ও কেন্দ্রের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। সাবেক এই আমলা গত ৫ জানুয়ারি থেকে ধানমন্ডিতে দলের সাবেক নির্বাচনী সমন্বয়ক এইচটি ইমামের কক্ষে বসে কাজ করছেন।অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আবুল কালাম আজাদ ও ড. মোহাম্মদ সাদিককে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করেন, এই তিনজনকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নানা জায়গায় রাখা হতে পারে।আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা। এতে সুনির্দিষ্ট ৯টি এজেন্ডার পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিষয়েও আলোচনা অথবা সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করছেন কোনো কোনো নেতা।ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘তিনজন নানা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা প্রশাসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। তাদের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আনার আলোচনা আছে।’জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত বসা শুরু করেন কবির বিন আনোয়ার। ওই দিন সেখানে এলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর থেকেজেলা-উপজেলার নেতারা কবির বিন আনোয়ারকে নিয়মিত ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন।গত ৫ জানুয়ারি তিনি দৈনিক আমাদের সময়কে এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। দলে কী দায়িত্ব পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাব।’ নির্বাচনী সমন্বয়কারী হতে যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘চাঁদ উঠলে সবাই দেখতে পারবেন।’ এরপর থেকে তিনি দলের পক্ষ হয়ে নানা কাজ করছেন, তবে তার পদের বিষয়টি এখনো পরিষ্কার হয়নি।অন্যদিকে গত ৭ আগস্ট তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে যান ওবায়দুল কাদের। ওইদিন তার সঙ্গে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ ও ড. মোহাম্মদ সাদিক। সেখানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগসহ দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জন্য কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব কক্ষে বসবেন আবুল কালাম আজাদ ও ড. মোহাম্মদ সাদিক।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আমাদের সময়কে জানান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনের নিচতলায় দলের নির্বাচনী অফিস করা হচ্ছে। আবুল কালাম আজাদ ও ড. মোহাম্মদ সাদিকের জন্য কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে।’ কে কোন পদে আসবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নেত্রী (শেখ হাসিনা) ঠিক করবেন। এখানে উনাদের বসার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখান থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতিসংঘের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বায়োডাইভারসিটি বিষয়ক গ্লোবাল কমিশনের কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে অপরিসীম অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাপান সরকার কর্তৃক জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদক ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টার’ লাভ করেন।ড. মোহাম্মদ সাদিক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিয়াম) ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক এবং সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালন করেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবেও। কবিতা ও গবেষণাতেও সময় দেন তিনি। স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছেন ড. মোহাম্মদ সাদিক। এ ছাড়া ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাগরী ভাষা ও লিপির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বলা হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় যারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন, মোহাম্মদ সাদিক তাদের একজন।কবির বিন আনোয়ার সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে অবসরে যান। এর আগে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন (মায়ের নামে, অলাভজনক সংস্থা) ছিলেন। লেখালেখি, গবেষণা ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও বিচরণ আছে তার। ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FDA6, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ , রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলে বক্তারা এবার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে দেওয়া হবে না," সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকার প্রবেশদ্বারে অবস্থান কর্মসূচির পর ১২ দিন বিরতি দিয়ে রাজপথে আবারও বড় কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল করে দলটি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মালিবাগ রেলগেট থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।বেলা ২টায় বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গণমিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টায় কর্মসূচি শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে গণমিছিলের সমাপ্তি টানা হয়। অপরদিকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কমলাপুর থেকে শুরু হওয়া গণমিছিল সাড়ে ৬টার দিকে মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন কাঁচাবাজারে গিয়ে শেষ হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জুমার নামাজের আগেই নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে নির্ধারিত স্থানের আশপাশে অবস্থান নেন। জুমার নামাজ শেষে খ- খ- মিছিল নিয়ে উত্তরের নেতাকর্মীরা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এবং দক্ষিণের নেতাকর্মীরা কমলাপুর মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম মার্কেটের পাশে অবস্থান নেন। মহানগর উত্তর : গতকাল গণমিছিল শুরুর আগে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাকে গণবিদায় করতে হবে। ওই গণভবনে পৌঁছাতে হবে, বঙ্গভবনে পৌঁছাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন যুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই তোমাদের (সরকারের) দিন শেষ। মানে মানে পদত্যাগ কর। তা না হলে রাজপথে ফয়সালা হবে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের স্বাধীনতার সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে দেশের বিচারব্যবস্থা। বিচারালয়ের ওপর ভর করে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। তাতে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। নতুন দুটি দলকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ এই দুই দলকে চেনে না। এদের দিয়ে সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। এবার এ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। এবারের লড়াই হচ্ছে জীবন-মরণ লড়াই। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই লড়াই তখনই শেষ হবে, যখন শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। যখন আবার এ দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। সেই দিন এই লড়াই শেষ হবে। সেই লড়াইয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।’আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বক্তৃতার কিছু নাই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারবেন? সবাই ‘হ্যাঁ’ বলে জবাব দিলে তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করার জন্য আজকে পুরো বাংলাদেশ প্রস্তুত।’ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আমিনুল হক। এতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আরও অংশ নেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান। দক্ষিণ বিএনপি : কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশে গণমিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে কোনো হানাহানি নেই। কিন্তু সরকার মিছিল করা, অবস্থান করা ও কথা বলার অধিকারের মতো গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুনলাম উনি (সিইসি) নাকি ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করবেন। এ তফসিল ঘোষণা করবে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না, যে নির্বাচন কমিশন এই নিশিরাতের সরকারের নির্বাচিত কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে হুশিয়ার করতে চাই, সরকারি আদেশ মেনে আপনারা যে কাজ করছেন, অন্যায় করেছেন।’সমাবেশে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। তবে কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে কখনো কৃপণতা করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার কোনো পাতানো নির্বাচন করলে নেতাকর্মীরা সজাগ থাকবেন, তাদের উচিত জবাব দেবেন।’ ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের সময় শেষ। তাদের বিদায় নিতেই হবে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহম্মেদ রবিনের পরিচালনায় সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।দক্ষিণের এ গণমিছিলে অংশ নেওয়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের জহির উদ্দিন তুহিন প্রমুখ। মাঠে আসেন নিষ্ক্রিয় নেতারাও : ২৯ জুলাইয়ের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে দলের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় গতকালের কর্মসূচির ব্যাপারে দলের সব পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশে শীর্ষ নেতৃত্বের কঠোর বার্তা ছিল। এ বার্তা বেশ কাজে দিয়েছে বলে মনে করে নেতাকর্মীরা, যার প্রতিফলন ঘটে গতকালের কর্মসূচিতে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলেন, সমাবেশ বা মহাসমাবেশ ছাড়া এর আগে এমন কর্মসূচিতে এত নেতাকর্মী একসঙ্গে দেখা যায়নি। গতকালের কর্মসূচিতে মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন এবং কমিটি থেকে বাদ পড়লেও শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেলর শোডাউনও ছিল উল্লেখযোগ্য। ছাত্রদলের শ্রাবণের অনুসারীদেরও গণমিছিলে দেখা গেছে। যানজট : এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গণমিছিল এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ঘর থেকে বের হওয়া মানুষকে ভোগান্তিকে পড়তে হয়। গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সংশ্লিষ্ট সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FDFD, আমাদের সময়,১২ আগস্ট ২০২৩ , তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে," সরকার পতনের একদফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা একাধিক রাজনৈতিক দল ও জোট। গণমিছিলে এসব দল ও জোটের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। মিছিলের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দল পুরোপুরি দেউলিয়া বলেই তাদেরকে বিরোধী দলের লেজুড়বৃত্তি করতে হচ্ছে, বিরোধী দলের পিছনে পিছনে হাঁটতে হচ্ছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৫ বছর ধরে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে। গুম, ক্রসফায়ার, মামলা, গ্রেপ্তার করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করেছে। লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। এখন সেসব তথ্য বের হয়ে আসছে; এরা কেউ ছাড় পাবে না। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার এখন পুলিশনির্ভর হয়ে দমন-নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত।ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, অতীতের স্বৈরশাসকরা যেভাবে বিদায় নিয়েছে, বর্তমান স্বৈরশাসককেও জনগণ সেভাবে বিদায় দেবে। বিকালে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন সড়ক থেকে গণমিছিল বের করে ১২ দলীয় জোট। মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাস্তব নয়। সবাইকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান। গণমিছিলের আগে পূর্ব পান্থপথে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এতে দলের প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে। মিছিলের আগে সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫টির বেশি আসন পাবে না। সে কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায় তারা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) নেতাকর্মীরা। এতে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ করে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘নিজেদের সেফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিন; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও একদফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। সকালে বিজয়নগরে বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে, এখন ধ্বংস করতে চায়। অতীতে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল, তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল।একই দাবিতে গতকাল রাজধানীতে গণমিছিল করেছে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণফোরাম (একাংশ) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FD4B, আমাদের সময়,১১ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক চুক্তি নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী," আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি সই করবে না। গতকাল নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান ও শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আব্দুর রশীদ।বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপের সময় জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি সই হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রকম চুক্তি করব বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আমাদের দেশে অনেক দিন থেকে এটা হয়ে আসছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এ সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে, এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার। এ সংস্কৃতি বন্ধে আমরা একটা সেমিনার করব। যুক্তরাষ্ট্র বলছে দুর্নীতি দমনে দেশটি নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকরে। দেশটির ব্যাংকে দুর্নীতি করে যেসব বাংলাদেশি অর্থ জমিয়েছে, তা জব্দের কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করে, আমরা খুব খুশি হব। কারণ তাদের দেশে একটি আইন আছে, বেশি টাকা নিয়ে গেলে কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়, তাদের নাগরিক হওয়া যায়। তিনি বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, অন্য দেশেও এ নিয়ম আছে। আর আমাদের দেশে যারা দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যান তা যদি জব্দ করা হয়, আমরা খুশি হব।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FCDE, আমাদের সময়,১০ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২ চুক্তি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী," আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষাখাতের জিসোমিয়া ও আকসা নামের দুটি চুক্তি হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি কবে নাগাদ হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আকসা বা জিসোমিয়া চুক্তি করার মতো বিলাসিতা সরকারের নেই।’দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সফর নিয়ে ড. মোমেন বলেন, তাদের কাউকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না বাংলাদেশ। সম্পর্কের কারণেই তারা আসছেন।অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নিলে সরকার খুশি হবে।বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা ও জিসোমিয়া নামের দুটি চুক্তি সই করতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আকসা’র (অ্যাকুজিশান অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) অধীনে মার্কিন বাহিনী খাদ্য, জ্বালানি, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি বিনিময় করে থাকে দেশটি। আর জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তির অধীনে সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় করে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FCB1, আমাদের সময়,১০ আগস্ট ২০২৩ , পিছিয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের নির্বাচন," পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর শুরু হয়েছে নির্বাচনের দিনগণনা। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা পিছিয়ে যেতে পারে বলেইআশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড.আরিফ আলভি। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ায় পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করবেন। তারা ব্যর্থ হলে পার্লামেন্টারি কমিটি এই দায়িত্ব নেবে।আরও পড়ুন: ভেঙে দেওয়া হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টআইন অনুযায়ী, কমিটির কাছে নাম পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা। তিন দিনের মধ্যে নাম চূড়ান্ত করবে কমিটি। তারাও যদি ব্যর্থ হয় তবে তখন এই দায়িত্ব পাবে ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান।এমন পরিস্থিতিতে শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।তবে এই সরকার গঠন ছাড়াও নির্বাচন আয়োজনের আরেকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জনশুমারির সঠিক তথ্য হাতে পাওয়ার পরই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তারা জানান, জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘জনশুমারি শেষ হলেই নির্বাচন হবে। এ জন্য চার মাস সময় দরকার হবে। ফলে নির্বাচনটি আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FA51, আমাদের সময়,"১৯ জুলাই ২০২৩,", ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন নৌকার ভোট গেল কোথায়?," ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ২৮ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৪ হাজার ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য হন আকবর হোসেন পাঠান। একই আসনে একই দলের প্রার্থী এত কম ভোট পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছেÑ নৌকার ভোট গেল কোথায়? জবাবে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বলছেনÑ চার-পাঁচ মাসের জন্য এ আসনে নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের আগ্রহ কম ছিল।ঢাকা বিভাগের দায়িত্বরত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আমাদের সময়কে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর ৫ মাস বাকি। এ অবস্থায় শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় কেন্দ্রে ভোটার আসার ক্ষেত্রে আগ্রহ কম ছিল। যার ফলে এবার ভোট কম পড়েছে বলে আমার মনে হয়।’২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন মহাজোট প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মারাগেলে আসনটি শূন্য হয়। গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও জাতীয় পার্টিসহ ৬ দলের প্রার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙল) পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ ভোট, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৯২৩ ভোট।এ উপনির্বাচনের প্রচারে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তার প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি অন্য নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে ছিলেন, কিন্তু তাদের সমর্থকরা আন্তরিকভাবে কাজ করেননি। এ ছাড়া বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবং নৌকার জয় অনেকটা নিশ্চিত ভেবে অনেকে ভোট দিতে আসেননি।’ জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে ভোটারদের যোগাযোগ কম, এটিও একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে মোট ভোটার সোয়া ৩ লাখ। গত ১৭ জুলাইয়ের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৭ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে ৩৮৩টি ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করেছে ইসি। ভোট পড়েছে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ।ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ২২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে এমপি হতে ইচ্ছুকদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, অভিনেতাসহ বেশ কয়েকজন। তারা হলেনÑ এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড্যানি সিডাক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা মু. নজরুল ইসলাম তামিজি, প্রয়াত ফারুকের ছেলে রৌশন হোসেন পাঠান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা সুলতানা, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জসিম উদ্দিন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য লতা নাসির, গুলশান থানা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম, মুজিবনগর বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব মো. মুসা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো. আবু সাইদ, যুবলীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল হাফিজ মল্লিক, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য তাহসিন মাহবুব, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. নাছির এবং তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর ইমাম। পরে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে নৌকা প্রতীকে লড়াইয়ের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006FB39, আমাদের সময়, ০৮ আগস্ট ২০২৩, নির্বাচনে না এলে জনগণ বিএনপির কবর রচনা করবে: নানক," আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আপনাদেরকে বলতে চাই- আপনাদেরকে ভুল পথ ত্যাগ করতে হবে। ভুল পথ যদি ত্যাগ করে সঠিক পথে, গণতন্ত্রের পথে, নির্বাচনের পথে যদি না আসেন তাহলে বাংলার জনগণ দেশের মাটিতে আপনাদের কবর রচনা করব।’আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।বিএনপির সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এখন খালি দিনক্ষণ দেয়? শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবে? কী কারণে উৎখাত করবেন? মির্জা ফখরুল সাহেব ক্ষমতায় থাকতে কী করেছেন বাংলাদেশের জন্য? ক্ষমতায় থাকতে রক্তে প্লাবিত করেছেন বাংলাদেশকে। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।’তিনি বলেন, ‘কুলাঙ্গার তারেক রহমান ওই বিএনপি-জামায়াত সরকারের পাশে আরেকটি হাওয়া ভবন সরকার গঠন করেছিল। লুটপাঠ-সন্ত্রাাসের হেডকোয়ার্টার সৃষ্টি করেছিল। সেই জায়গা থেকে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে।’আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্র তো শুরু করেছিলেন ২০০৯ সাল থেকে? কিন্তু পারেন নাই। কারণ বাংলার জনগণের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করেছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। শেখ হাসিনা উড়াল সেতু করেছেন। শেখ হাসিনা মেট্রোরেল করেছেন। শেখ হাসিনা বছরের প্রথম মানুষের শিশুদের হাতে হাতে বিনা পয়সায় বই পৌঁছে দেন।’তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল আর আজকে ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে সার্বিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।’শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘তোমাদের এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের সংগঠন। তার গড়া সংগঠন। এই সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত হয়ে সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসাবে গড়ে উঠবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে তোমারা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসবে। তবেই শেখ রাসেলের আত্মা শান্তি পাবে।’শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনসহ অনেকে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F8DA, আমাদের সময়,০৫ আগস্ট ২০২৩ ," এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, পাগলেও বিশ্বাস করে না"," জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন হবে সেটি পাগলেও বিশ্বাস করে না। মানুষ কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারে না, ব্যালট বাক্সে দিতে পারে না। গোপন কক্ষে সরকারি দলের লোক দাঁড়িয়ে থাকে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।’আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসূফ সেলিমসহ গ্রেপ্তারকৃত সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।সমাবেশে জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) জ্বালাও-পোড়াও এর কথা বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা বলেন, সেই আপনারাই ৩৬৫ দিনের বছরের ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। হোটেল শেরাটনের সামনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে কে? লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করেছে কে? গত ৫০ বছরে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থা এই দেশে করা গেল না।’আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘যারা লুটেরা, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, যারা লাখ লাখ টাকা দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। লুটেরারা জামিন পায়, কিন্তু খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও জামিন পান না। তার অপরাধ তিনি বেশি জনপ্রিয়, তার সমর্থন বেশি।’তিনি বলেন, ‘আজকে দেশটি একটি জাহান্নামে রূপান্তরিত হয়েছে। আজকে একটি মানুষের বিরুদ্ধে ১০০টি মামলা হয়। ৩০ দিনে মাস হয়, ১০০ মামলায় হাজিরা দেবে কখন? ভাত খাবে কখন, ঘুমাবে কখন? লাখ লাখ কর্মী আজকে জেলখানায়। সেখানে জায়গা নেই।’জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘সামনে খুব খারাপ দিন আসছে। আমাদের কথায় তো আপসে যাচ্ছেন না। তখন কিন্তু রেহাই পাবেন না। রাস্তা-ঘাটে মানুষ ধরবে আপনাদের। এই সরকার জুলুমবাজ, লুটেরা, খুনি, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর। অতএব এদের বিদায় দিতে হবে। সত্য ও ন্যায়ে আন্দোলনে আমরা অবশ্যই জয়লাভ করব। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে যেতে হবে।’সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F8D1, আমাদের সময়,০৫ আগস্ট ২০২৩ , প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে," জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।’আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে সমমনা জোট।ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে অত্যন্ত ভয় পায়। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং বিএনপি নির্বাচনে থাকলে আওয়ামী লীগ কখনো জয় লাভ করতে পারবে না। সে কারণে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এ রায় তারই অংশ। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এই ফরমায়েশি রায়ের নিন্দা জানায়।’তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। জনগণ ইতো মধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে ছয়নয় করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।’এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব আব্দুল বারিক, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল প্রমুখ।সমাবেশ শেষে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F6F0 , আমাদের সময়,০৩ আগস্ট ২০২৩ , নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাম্প," যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় তিনি দেশবাসীকে মিথ্য বলেছিলেনÑ এমন ফৌজদারি অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগ পূর্বের যে কোনো অভিযোগের চেয়ে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করছেন পর্যবেক্ষকরা। খবর বিবিসি।খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, সাক্ষীকে হেনস্তা এবং রাষ্ট্রের জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা। তবে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এবারের অভিযোগকে কেন সবচেয়ে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিবিসির উত্তর আমেরিকার সম্পাদক সারাহ স্মিথ। এই সাংবাদিক বলছেন, আমার দৃষ্টিতে এবারের অভিযোগ সবচেয়ে গুরুতর ও অকাট্য। এ ধরনের অভিযোগের মুখে পূর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প পড়েননি। কেননা, বাকি অভিযোগগুলো ছিলÑ ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় ছিলেন না, সেই সময়ের ঘটনা। এর আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু ঘটনাটি ছিল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে। এর পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রাখার অপরাধেও সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনাটিও তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরের ঘটনা। কিন্তু এই সর্বশেষ অভিযোগের সময় তিনি হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে দায়িত্বরত ছিলেন। এই অভিযোগ সত্য হলেÑ তিনি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে মিথ্যচার করেছেন।ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন মার্কিন বিচার বিভাগের নিয়োগকৃত বিশেষ কাউন্সিলর জ্যাক স্মিথ। তিনি গত মঙ্গলবার জানান, আমাদের রাজধানীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলাটি ছিল গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর আঘাত। ৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ট্রাম্প ছাড়াও ছয়জন অজ্ঞাত ষড়যন্ত্রকারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে চারজন হলেন আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং অপরজন একজন রাজনৈতিক পরামর্শক। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র, অসাধু উপায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ট্রাম্প ভোট কারচুপির যে অভিযোগ এনেছিলেন তা পুরো মিথ্যা এবং তিনি তা জানতেনও। তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দ্বারা জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্টে হিসেবে কংগ্রেসের স্বীকৃতি আটকাতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। এর পরও দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F642, আমাদের সময়,০২ আগস্ট ২০২৩ ," নির্বাচন এখন ইলেকশন না, সিলেকশন"," নির্বাচনকে এখন ইলেকশন না বলে সিলেকশন বলা যায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার বিশেষ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনের নামে যা চলছে তাকে কোনোভাবেই নির্বাচন বলা যায় না। যেহেতু নির্বাচন কমিশন সিলেকশন করবে না, তাই নির্বাচন কমিশনকে আর সিলেকশন কমিশনও বলা যাবে না। সিলেকশন করা হবে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হবে সিলেকশনকে বৈধতা দেওয়া। তাই নির্বাচন কমিশনকে বলা যায় ইলেকশন ভেলিডেশন কমিশন।নির্বাচন কমিশনের আইনগত ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দলীয় লোকজন নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন করায়ত্ত করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ শতভাগ বাস্তবায়ন করবে এমন লোকজন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল দেশি-বিদেশিরা। সরকার ইচ্ছে করলে এই নির্বাচনটা সঠিক করতে পারত। মানুষের প্রত্যাশা অগ্রাহ্য করে নিজেদের মতো করেই নির্বাচন করেছে। এ কারণেই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। কারণ তারা জানে, যেখানেই ভোট দেবে নির্বাচিত হবে সরকারের পছন্দের প্রার্থী।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F510, আমাদের সময়,৩১ জুলাই ২০২৩, চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী জয়ী এত প্রচার তবু ভোটারবিহীন," রিকশার পেছনে লেমিনেটিং করা কাগজে লেখা ‘সূচয়ন বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মহিলা কেন্দ্র।’ দেখে কারো বুঝতে বাকি থাকে না ভোটার আনা-নেওয়ার কাজে রিকশাটি ভাড়া করা হয়েছে সকাল থেকে। কিন্তু দুপুরে নগরীর জামাল খান থেকে যাত্রী নিয়ে সেটি যাচ্ছিল আসকার দিঘীর পাড়। রিকশার চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে দুজন ভোটারও বের হননি গলিতে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার নিয়ে না যেতে পারলে তো আমাকে টাকা দেবে না। ওরা আমকে টাকাও দেয়নি। তাই চলে এসেছি। নগরীর শুলকবহর এলাকায় ভোটকেন্দ্রটির অবস্থান। পরে নগরীর খুলশী থানার একাধিক কেন্দ্র, পাহাড়তলী, লালখান বাজার ও হালিশহর ঘুরেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা চেষ্টা করেছেন ভোটারদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সফল হননি। ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবুল হাসনাত বেলাল আমাদের সময়কে বলেন, ভোটারের উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। তবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অন্তত এক হাজার ভোটারকে আমার কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হয়েছি। নির্বাচন কমিশন বেসরকারি ফল প্রকাশ করেছে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭২ ভোট। সব মিলিয়ে নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ১৫৩টি। ভোটের হার ১১ দশমিক ৭০।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F4DB, আমাদের সময়,৩০ জুলাই ২০২৩, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় বাধা বিএনপি-জামায়াত: শেখ পরশ," বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেনছেন, একটি দলই এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। তারা হলো বিএনপি-জামায়াত। তারা এখন ভিসানীতির আওতায় পড়ার ভয়ে আছে। নিজে যখন মরব, তোরে নিয়াই মরব। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি।আজ রোববার বিকেল ৩টায় বিএনপি-জামাতের হত্যা, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহাখালী কাঁচা বাজারে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাকি নিপীড়নের রাজনীতি করি। আপনারা দেখেছেন শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবং সব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, ঠিক তখন তারা তাদের সেই পুরোনো চরিত্র উন্মোচন করছে।’পরশ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়নি। যে দলে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, তারা কখনো সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। এই শান্তি যারা নষ্ট করতে চেয়েছে তাদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। আগামীকাল বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। কিসের বিক্ষোভ। হামলা করলেন আপনারা, সমাবেশ করলেন আপনারা। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। তাই, আগামীকালও আমরা যুবলীগ মাঠে থাকব।’সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ডা. আওরঙ্গজেব আরু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ তানভীর কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার, শেখ মারুফ হোসেন, জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, ছাবের আহমেদ, সাইদুর রহমান আবিরসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F4A4 , আমাদের সময়,৩০ জুলাই ২০২৩, নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন রিজভী , নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ রোববার দুপুর ১টায় আগারগাঁওয়ে শেরে বাংলা নগরস্থ নির্বাচন কমিশন ‌অফিসে যাবেন তিনি।বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।এদিকে ধোলাইখালে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় সালাম-নিপুণসহ দলটির ৪২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০/৪০০ নেতাকর্মীকে।অন্যদিকে সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশে সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ করবে বিএনপি। শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ,Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F396, আমাদের সময়,২৮ জুলাই ২০২৩, বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন চান ১৪ কংগ্রেসম্যান," বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় ‘ভোটারদের ভয়ভীতি, হয়রানি বা হামলা প্রতিরোধে’ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন চান ১৪ জন মার্কিন কংগ্রেসম্যান। এ জন্য তারা জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের কথিত অপরাধের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘের উচিত মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ অবিলম্বে স্থগিত করা।এতে বলা হয়, গত ৬ থেকে ৮ মাসে হাজারো শান্তিপূর্ণ ও সাহসী বিক্ষোভকারী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এই বিক্ষোভগুলো প্রায়ই সহিংসতা, কাঁদানে গ্যাস এবং পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা নৃশংস হামলার সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বিভাগ অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) যেকোনো সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মোতায়েন করা বন্ধ রাখতে হবে, যতদিন না তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন হয়।চিঠিতে বলা হয়, আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাবের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে রয়েছে—নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবিলম্বে নিন্দা জানানোর দাবিও জানিয়েছেন ১৪ কংগ্রেসম্যান।১২ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠিচিঠিতে সই করা ১৪ কংগ্রেসম্যান হলেন- বব গুড, স্কট পেরি, অ্যানা পলিনা-লুনা, যশ ব্রেচেন, র‌্যালফ নরম্যান, এন্ড্রু ক্লেড, এইলি ক্রেইন, করি মিলস, পল এ গসার, ডোগ লামাফা, রনি এল জ্যাকসন, র‌্যান্ডি ওয়েবার, ব্রেইন বেবিন ও গ্লেন গ্রোথম্যান।এক টুইটে বব গুড বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রাপ্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমি আমার ১৩ সহকর্মীকে নিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দিয়েছি।’",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F36C, আমাদের সময়,২৮ জুলাই ২০২৩, প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দিতে হবে," যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মহাসমাবেশ’ করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের প্রধান সমন্নয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এটি বিএনপির দাবি নয়, গণমানুষের দাবি। সব গুম-খুনের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দিতে হবে।তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে সরকারের হুকুমে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। দেশবাসী শপথ নিয়েছে এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না।আরও পড়ুন: মহাসমাবেশ শুরুর ৪ ঘণ্টা আগেই নয়াপল্টনে বিপুল নেতাকর্মীসমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর ঘুরে আবার পুরানা পল্টনে শেষ হয়।এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এন এম শাওন সাদিকী, মুসলিম লীগের খান আসাদ, জনতা অধিকার পার্টির তরিকুল ইসলাম, জাগপা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, এনপিপি নেতা নবী চৌধুরী, বেলাল হোসেন, মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F32B, আমাদের সময়,২৮ জুলাই ২০২৩, বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা," আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনিয়োগ পরিবেশ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপন্থি, ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল। তবে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠতে পারে। গতকাল ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।সবশেষ সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত শেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা ধরনের অনিয়ম, সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে ব্যাহত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ধরনের আইন ও নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পরিসর সংকুচিত করেছেন, সেই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব এবং গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের স্বাধীনতা হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিবেদন মূলত বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে। বিশ্বের ১৬০ দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে এ প্রতিবেদন দিয়েছে তারা। সেখানে বাংলাদেশ অংশে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গড়ে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কৌশলগত গুরুত্ব ও বিপুল শ্রমশক্তির কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগ করে থাকে। তবে কোভিড-১৯ ও তার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা কমেছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়েছে।প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের ভালোমন্দ উভয় দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত এক দশকে বিনিয়োগের বাধা অপসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে, যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব, শ্রম আইনের শিথিল প্রয়োগ ও দুর্নীতির কারণে এখনো বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। সরকার ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়াস পেয়েছে, কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ নীতির এখনো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখনো বিকশিত হচ্ছে। আর্থিক খাত ব্যাংকের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। অথচ ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি ঘটে গেছে। ১১টি ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশের বিচারিক কার্যক্রমের গতি ধীর এবং এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সেই সঙ্গে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় চুক্তি বাস্তবায়ন ও ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যাহত হয়। শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অধিকার (আইপিআর) ও পরিবেশবিষয়ক বেশ কিছু আধুনিক আইন করা হয়েছে, কিন্তু এসব আইনের অনেক কিছুই প্রয়োগ হয় না। তবে গত এক দশকে ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও শ্রমিকদের স্বাধীনভাবে সংগঠন করা ও সম্মিলিতভাবে দর-কষাকষির অধিকার সীমিত। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশবিষয়ক বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সমঝোতায় যোগ দিলেও বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট শহর।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F2B1, আমাদের সময়,২৭ জুলাই ২০২৩, কলকাতায় গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তথ্যমন্ত্রী," ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গিয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্যটির পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের এখানেও সদ্য স্থানীয় স্তরে নির্বাচন হয়েছে। তাতে কী হয়েছে, আপনারা সবাই জানেন। আমাদের ওখানে ভোটকেন্দ্রের বাইরে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়া মাত্র সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়। এটা তার উদাহরণ মাত্র।’উল্লেখ্য, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও হাইকমিশন বিবৃতি দিয়েছিল।গত বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাদের সতর্ক করেন ও বাংলাদেশের অসন্তুষ্টির কথা জানান।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F30B, আমাদের সময়,২৮ জুলাই ২০২৩, বাংলাদেশের নির্বাচনে অন্যদের এত আগ্রহ কেন," ভূরাজনীতির হিসাব কোনোদিনই সহজ ছিল না, আজও নেই। সেখানে আমেরিকা-ভারত-চীন-পাকিস্তান-রাশিয়া-বাংলাদেশ স¤পর্ক আরও কিছুটা জটিল। ভারত, রাশিয়া ও আমেরিকার সঙ্গে ভিন্নপথে হলেও একটি স্বাভাবিক সপর্ক বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেছে বহু বছর। আজও তেমনটাই তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য। তাদের ভাষায়- তারা জোট নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। পাকিস্তান একাধারে চীন ও আমেরিকার সঙ্গে সমান্তরাল স¤পর্ক বজায় রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। ভারতকে সামনে রেখে তারা স্বার্থের হিসাব কষে বেশ বাগে রাখতে সমর্থ ছিল আমেরিকা আর চীনকে। বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতির খেলায় কোনোদিনও বড় কোনো ভূমিকায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি এর আগে। এবার মনে হচ্ছে, সেই সুযোগ তাদের ঘরের দরজায় টোকা দিচ্ছে। বাংলাদেশের ভূঅবস্থান, অর্থনৈতিক উন্নতি ও ভারতের আগ্রহ- সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতি। রাশিয়া-চীন স¤পর্কে তেমন কোনো বড় ধরনের সংঘাত নেই। যে দেশের বন্ধু চীন, সে দেশের বন্ধুই হতে পারে রাশিয়া একেবারে সরলপথে। কিন্তু তেমন সরলপথের সুযোগ নেই আমেরিকা ও চীন কিংবা আমেরিকা এবং রাশিয়ার সঙ্গে স¤পর্কের ক্ষেত্রে। আমেরিকার বন্ধু মানেই চীন কিংবা রাশিয়ার বন্ধু নয়। ভারত আর চীনের স¤পর্কটিও তেমন। যে দেশ চীনের বন্ধু, সে ভারতের বন্ধু হতে সমস্যা দেখতে পায়। ভারতের দুদিকেই চীন ও পাকিস্তান রীতিমতো বৈরী দুটি দেশ। এই দুদেশের সঙ্গে ভারতের সরাসরি বৈরী স¤পর্ক। বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে একেবারে মাঝপথে। ভারত ও চীনের প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ভারতের কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে চীন বরাবরই একটু বেশি পাত্তা দিয়ে থাকে। সেখানে অধুনাকালে যোগ হয়েছে আমেরিকার বিষয়টিও। ভারত ও আমেরিকার স্বার্থ ক্ষুণœ করতে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বন্ধুর মালা উপহার দিতে চীন বদ্ধপরিকর। তাদের এ কাজে পাশে থাকে রাশিয়া সব সময়ই।অন্যদিকে ভারত তার তিন দিকের প্রতিবেশী বাংলাদেশকে কোনোভাবেই চীনের দিকে ঝুঁকে যেতে দিতে চায় না। বাংলাদেশ যেদিকেই যাক, চীনে যেন না যায়- ভারতের রাতদিনের চিন্তা তেমনটাই। আমেরিকারও তেমন চিন্তা বাংলাদেশকে নিয়ে। ভারতের দিকে ঝুঁকো, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু চীনের দিকে এগিও না। বাংলাদেশ মনে মনে চীন, আমেরিকা, ভারত ও রাশিয়া- সবার সঙ্গেই ভালো স¤পর্ক রাখার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে তাকে বেশ বুঝেই পা ফেলতে হচ্ছে। ভারতকে তার প্রয়োজন আবার চীনকেও। অন্যদিকে রাশিয়াকে যেমন প্রয়োজন, তেমনি আমেরিকাকেও। অথচ বাস্তব জটিল সমীকরণে এতকিছু একসঙ্গে হওয়ার উপায় নেই। তাই বাংলাদেশকে গুনে গুনে পা ফেলতে হচ্ছে। তবে মোদির ভারতের দিকে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ অনেকটাই বেশি ঝুঁকে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নেওয়ার বিশ্ব রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে বহু বছর ধরেই।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে স¤পর্কের উন্নতি ঘটে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেই শেখ হাসিনার সরকার দেশের সীমান্ত অঞ্চলে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত ভারতের উগ্র ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। ফলে ভারতের পরম আস্থা অর্জন করেন শেখ হাসিনা। তখন থেকেই খুলে যায় দিল্লি-ঢাকা স¤পর্কের নতুন অধ্যায়। ভারত তখন বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবে। চীন আর পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ দিতে তারা বাংলাদেশের কাজে লাগাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকারের কাছের বন্ধু হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে মোদির সরকার। বর্তমানে তারা আরও বড় ভূমিকা নিতে যাচ্ছে। দিল্লির সহায়তায় বাংলাদেশের একাধিক প্রকল্প শিগগিরই আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় আছে।ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান অভূতপূর্ব স¤পর্কের বাতাবরণে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ইতোমধ্যেই চালু করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রার ব্যবহার। খুলনার রামপালে অবস্থিত ‘মৈত্রী সুপারথার্মাল পাওয়ার প্লান্ট-২’ এবং ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মোংলাবন্দর রেলওয়ে, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে লিংক প্রকল্পে ভারত সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা রয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতিও বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে- দুদেশের মধ্যে ভারতীয় রুপির পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকাতেও বাণিজ্য লেনদেন হবে।আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন। যেখানে ভারত সেই সম্মেলনের সভাপতি, সেখানে বাংলাদেশ জি ২০-এর সদস্য না হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদেশের বিশেষ স¤পর্কের মর্যাদা দিতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে বেশ জটিল এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার অবস্থান। শুরুতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যেসব ব্যক্তি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান বাধা হয়ে দাঁড়াবে (তাদের রাজনৈতিক বিচারে)- তাদের ভিসা দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি জানিয়ে রেখেছে আমেরিকা। এরও আগে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাট পার্টির ছয় কংগ্রেস সদস্য তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে চিঠি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব হয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও। তাকে অনুসরণ করছেন পশ্চিমা কয়েক রাষ্ট্রদূতও। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো মাথা ঘামাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অপর পশ্চিম দুনিয়া অনেকটাই অপ্রত্যাশিতভাবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের অসন্তুষ্টি থাকলেও প্রকাশ্যে নির্বাচনের আগে এতটা জড়িত হতে দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই যেন মরিয়া এবার। ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলা ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ হস্তক্ষেপ বলে তারা মনে করেন না। এমন ধারণা ইইউও পোষণ করে। সেই আলোকে তাদের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকও করেছে।বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও আমেরিকার তৎপরতা নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ দিক থেকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, সেটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল’। এমন সমালোচনার পরও যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা বজায় রেখেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতি তৎপরতা কিংবা রাশিয়ার ঝগড়া- কোনো ক্ষেত্রেই আর ভারতকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশ্বের নতুন ঠা-াযুদ্ধ এখন চীন ও আমেরিকার মধ্যে। চীনকে চ্যালেঞ্জ করার এক বড় কারিগরি টানাপড়েনে আমেরিকার ভারতকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে আরও বেশি করে।অন্যদিকে ভারতের নেতৃত্বে ‘গ্লোবাল সাউথ’ নামের এক নতুন ক্লাব শক্তিশালী হচ্ছে। নর্থ দুনিয়া ধনী, সাউথ দুনিয়া গরিব- এমন বিশ্বাস আর এখন কেউ করেন না। জি ৭-এর অনেক সদস্য এখন দুর্বল। গুরুত্ব হারাচ্ছেন তারা। ফ্রান্সের মতো দেশও বেসুরে গাইছে। অন্যদিকে পশ্চিমবিরোধী ব্রিকস জোটের সদস্য হয়েও আমেরিকার এশিয়া নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে ভারত সার্থকভাবে। চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তবিরোধ থাকলেও নয়াদিল্লি এ বিরোধ নিয়ন্ত্রণে রাখার নীতিই অবলম্বন করছে। তাই দ্বন্দ্ব থাকলেও দুদেশের জাতীয় স্বার্থেই কিছু বিষয়ে তারা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারত চীনকে আমেরিকার চোখ দিয়ে না দেখলেও আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোকে, বিশেষ করে বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখতেই অভ্যস্ত। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ ছাড়া বর্তমান আন্তর্জাতিক স্তরে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ভারত, আমেরিকা, চীন- সবারই নজর রয়েছে এ অঞ্চলে। বিশ্বের আটটি প্রধান তেল ও গ্যাসের ভা-ারের মধ্যে তিনটি এ অঞ্চলে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত ও মোদি বর্তমানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F31E, আমাদের সময়,২৮ জুলাই ২০২৩, জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই : চরমোনাই পীর," বিএনপির মতো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে না হটানো পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন রাজপথে থাকার ঘোষণাও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। গতকাল বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।সম্প্রতি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দলের এক সভায় ফয়জুল করীম বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলে দলটির অভিযোগ। তার প্রতিবাদে গতকালকের ওই সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন।রেজাউল করিম সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশের মানুষের জানমাল, ইসলামের নিরাপত্তা নেই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে আমরা ঘরে বসে থাকব না। নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তন, সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রত্যেক থানায় তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হলে রাজধানীতে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিন রাজপথে নামব।সমাবেশে সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, দেশে একটি সংকট সৃষ্টি হয়ে সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রার্থীর ওপরে হামলা করে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগের ডানা গজিয়েছে ধ্বংসের জন্য।ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও এবিএম জাকারিয়া।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F28E, আমাদের সময়,"২৭ জুলাই ২০২৩, ", নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র ," বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে এক প্রতিবেদনে ওই আশঙ্কা স্থান পেয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালের ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন, ভিড় না করার আহ্বানপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচনের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন অনিয়ম, সহিংসতা ও ভয়ভীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের কিছু পদক্ষেপের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F259, আমাদের সময়,"২৭ জুলাই ২০২৩, ", যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ আগামীকাল নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ দখলে রাখার ঘোষণা আসবে," দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। আজ বৃহস্পতিবার এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত একদিন পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা এসেছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, বাণিজ্যমেলার মাঠ সমাবেশের অনুপযুক্ত হওয়ায় একদিন পেছানো হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত এখানেই আগামীকাল ক্ষমতাসীন দলটির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এদিকে আগামীকাল রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে সমাবেশ এবং থানা-ওয়ার্ডে অবস্থান কর্মসূচিরও প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দল সহিংসতায় জড়াতে পারে শঙ্কায় পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। দলসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার ঘোষণা আসবে এ সমাবেশ থেকে।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কাজ করছে দল। সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখে কাজ করছেন শীর্ষপর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। ক্ষমতাসীন দলটি চায়, সব দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণের ভোটে নির্বাচিতরাই সরকার গঠন করবে- এটিই হোক সব দলের অঙ্গীকার। কিন্তু সংবিধানকে উপেক্ষা করে বিপথগামী রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ এসব দলকে কোনোভাবেই অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসতে দেবে না।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে কারা কোথায় কর্মসূচি দিল- এ নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। কাজেই পাল্টা কর্মসূচির ভাবনাও আমাদের নেই। তবে কেউ যদি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, তারা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভোর থেকে রাত অবধি সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিতে। যদি কেউ অন্যায়ভাবে জনগণের ক্ষতি করতে আসে, তা হলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে।স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সমন্বয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তিনি বলেন, এতে কয়েক লাখ নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত হবেন। আমরা দুই পর্বে সমাবেশটি পরিচালনা করব। বেলা ১১টা থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হবেন। দুপুর ১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হবে। সেখানে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি হবে। তারপর বিকাল ৩টায় আলোচনাসভা শুরু হবে।এটি বিএনপির সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। রাজনৈতিক দল হিসেবে সহাবস্থানে থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব। সারাদেশে অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের শান্তি সমাবেশ।ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার আবদুল্লাহপুর। সেখানে কড়া পাহারায় থাকবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে মেসেঞ্জারে স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসান জানান, তিনি চিকিৎসাজনিত কারণে দেশের বাইরে রয়েছেন। তবে তার এলাকায় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য।ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদেও আজ ভোর থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতা হারুনর রশীদ মুন্না বলেন, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় পরিবহনসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের বাস। এ এলাকার কোনো মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব।অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টঙ্গী, সাভারসহ রাজধানীর পাশর্^বর্তী এলাকাতেও শান্তি সমাবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।",Negative https://dainikamadershomoy.com/details/00000006F1A4, আমাদের সময়,"২৬ জুলাই ২০২৩, "," বিএনপি দেশে নির্বাচন চায় না, বরং..."," অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‌‘বিএনপি নির্বাচন চায় না, বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’গতকাল মঙ্গলবার ইতালিতে তার বাসভবনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।আগামী সাধারণ নির্বাচনে আবারও তার দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’-এ ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি নির্বাচন চায় না, বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’",Negative