content
stringlengths 0
129k
|
---|
পাত্রপাত্রী |
© 2021 . . |
০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ই-পেপার |
|
- |
গয়নার বাক্স |
বিবাহ অভিযান |
প্রজাপতি বিস্কুট |
পাত্রপাত্রী |
: শুধু গয়নার বাক্স সাজালেই হবে না, বিয়ের গয়না রাখতে হবে সযত্নে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কলকাতা ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩৯ |
প্রতীকী ছবি |
সোনা হোক বা নকল সোনা অথবা রূপো, বিয়েতে উপহার হিসেবে সব চেয়ে বেশি গয়না পান নতুন কনেরাই |
সোনালি, রূপোলি চমকে, নজরকাড়া সাজে তিনিই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি |
কিন্তু বিয়ের পরে তাঁর উপরেই সব চেয়ে বেশি দায়িত্ব বর্তায়, বিয়েতে উপহার পাওয়া বা কেনা গয়নাকে সযত্নে রাখার জন্য |
মনে রাখবেন, বিয়ের গয়না শুধু কনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিই করে না, এই গয়না আসলে আভিজাত্যের প্রতীক |
সঞ্চয় ও সম্পদের মানদণ্ড |
তাই এই বহুমূল্য গয়নাকে সঠিক ভাবে সাজিয়ে রাখার গুরুভার তাঁরই |
বেশির ভাগ কনেই, বিয়েতে উপহার পাওয়া গয়না এক বার পরার পরে সরাসরি আলমারিতে তুলে রাখেন |
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গয়নার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় |
কালো হয়ে যায় |
তাই গয়না ব্যবহার করার পরে তা কী ভাবে স্বযত্নে রাখবেন তা জেনে নিন |
১. প্রথমে ৫০ মিলিলিটার সাদা ভিনিগারের সঙ্গে এক কাপ গরম জল এবং কিছুটা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন |
এরপর সেই মিশ্রণটি কোনও পরিষ্কার টুথব্রাশের সাহায্যে সোনা বা রুপোর গয়নায় জমে থাকা ময়লার উপরে ভাল করে ঘষে নিন |
কিছুক্ষণ ঘষার পর পরিষ্কার ঠান্ডা জলে তা ধুয়ে নিন |
দেখবেন চটজলদি গয়নার সমস্ত ময়লা উঠে গিয়েছে |
২. সোনার আংটি বা কানের দুলের খাঁজে অনেক সময় অতিরিক্ত ময়লা জমে যায় |
যার ফলে তা সহজে পরিষ্কার করা যায় না |
একটি কাঁচের বাটিতে আধ কাপ হাইড্রোজেন পেরোঅক্সাইড ঢেলে তাতে সোনার গয়নাগুলি ডুবিয়ে রাখুন |
কিছু ক্ষণ পড়েই দেখবেন ওই মিশ্রণ থেকে বুদবুদ উঠছে |
এর অর্থ হল গয়না থেকে অতিরিক্ত ময়লা সরে গিয়ে সেগুলি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে |
বুদবুদ ওঠা বন্ধ হয়ে গেলে একটি সন্নার সাহায্যে গয়নাগুলি তুলে নিয়ে, একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন |
দেখবেন, আপনার গয়নাগুলি আবার নতুনের মতো হয়ে গিয়েছে |
৩. মেয়েরা সহজেই সোনার গয়নার বদলে নকল সোনার গয়নার ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন |
নকল সোনার গয়না ব্যবহার করা সহজ হলেও তার যত্ন করা বেজায় কঠিন |
ঘাম ও জল সহজেই নকল সোনার রং নষ্ট করে দেয় |
তাই এটি খুব সাবধানে ব্যবহার করা দরকার |
নরম সুতির কাপড় ও হাল্কা গরম জল দিয়ে পরিস্কার করুন |
পাশাপাশি গয়নার বাক্সে সিলিকা জেল রাখতে পারেন |
নকল সোনার গয়না ব্যবহারে আরেকটি সুবিধে হল রং উঠে গেলে নতুন করে আবার রং করিয়ে নিতে পারেন |
গয়নায় যাতে ময়লা না জমে তার জন্য মনে রাখুন কিছু বিষয় |
১. গয়না ব্যবহার করার পর তা কখনই বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না |
হাওয়ার সংস্পর্শে এসে গয়না খুব তাড়াতাড়ি অনুজ্জ্বল এবং কালো হয়ে যেতে পারে |
বা বাইরের ময়লা গয়নার খাঁজে জমতে থাকে |
তাই পাতলা সুতির কাপড় বা নরম কাপড়ের মধ্যে মুড়িয়ে গয়না রাখাই ভাল |
২. গয়না পরিষ্কার করতে অনেকেই লেন্স ক্লিনজার ব্যবহার করেন |
ভুল করেও এটি করবেন না |
এতে গয়না খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় |
৩. গয়না পরিষ্কারের ক্ষেত্রে অ্যাসিডের ব্যবহার একদমই নয় |
৪. গয়না পরিষ্কারের ক্ষেত্রে পুরনো টুথব্রাশের বদলে নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করুন |
৫. অনেক সময়ে দামি গয়নার ক্ষেত্রে সোনার দোকানে কিছু আবশ্যিক নির্দেশাবলী থাকে |
সেই সব গয়না পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশই পালন করা শ্রেয় |
' '' - |
: 'সুশ্রী'র মার্কশিটে শ্রীহীন হাসপাতাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মেদিনীপুর ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩৮ |
জেলার তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল |
নিজস্ব চিত্র |
মূল্যায়ন হয়েছে রাজ্যের ৩১৫টি হাসপাতালের (মহকুমা, সুপার স্পেশালিটি, গ্রামীণ হাসপাতাল) |
বেরিয়েছে মার্কশিট |
সে মূল্যায়নে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছু হাসপাতালের 'বিশ্রী' চেহারা সামনে এসেছে |
প্রথম দশে রয়েছে জেলার একটি হাসপাতাল |
প্রথম একশোয় ওই একটি ছাড়া জেলার আর কোনও হাসপাতালই নেই! প্রথম দু'শোর মধ্যেও রয়েছে মাত্র তিনটি হাসপাতাল |
এই মূল্যায়ন 'সুশ্রী' (কায়াকল্প) প্রকল্পের |
স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করাচ্ছেন, মূলত হাসপাতালের পরিষেবা এবং পরিবেশের দিকগুলি ঠিকঠাক থাকলে 'সুশ্রী'তে প্রথম সারিতে স্থান মেলে |
'সুশ্রী'তে তো সার্বিকভাবে জেলার ফলাফল ভাল নয়? সদুত্তর এড়িয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, ''জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে ঘাটালের বিদ্যাসাগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র |
রাজ্যের মধ্যে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থান নবম |
'' জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মনে করাচ্ছেন, ''এই পুরস্কার পেতে গেলে কয়েকটি শর্তপূরণ করতে হয় |
কয়েকটি মানদণ্ড রয়েছে |
জেলার কিছু হাসপাতাল এই সব শর্তপূরণ করেছে |
নির্ধারিত মানে পৌঁছেছে |
কী মানদণ্ড? জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে ৬টি মানদণ্ড রয়েছে |
যেমন এক, পরিকাঠামোগত মান ভাল হতে হবে |
দুই, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাল হতে হবে |
তিন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা ভাল হতে হবে |
চার, ইনফেকশন কন্ট্রোল ব্যবস্থা ভাল হতে হবে |
পাঁচ, পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে এগিয়ে থাকতে হবে |
ছয়, স্বাস্থ্য- সচেতনতা প্রসারে উদ্যোগী হতে হবে |
মূল্যায়নে অন্তত ৭০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই পুরস্কারের 'দৌড়ে' শামিল হওয়া যায় |
একাধিক স্তরে মূল্যায়ন হয় |
প্রথমে আশেপাশের সমপর্যায়ের কোনও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মূল্যায়ন করে |
পরে ওই মূল্যায়ন রিপোর্ট জেলায় পৌঁছয় |
৭০ শতাংশ নম্বর থাকলে পরে জেলাস্তরের দল সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে মূল্যায়নে যায় |
জেলাস্তরের দলের মূল্যায়নেও যদি ৭০ শতাংশ নম্বর মেলে তবেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নাম 'সুশ্রী' পুরস্কারের জন্য রাজ্যে প্রস্তাব করা হয় |
রাজ্যের মূল্যায়নে পশ্চিম মেদিনীপুরের সার্বিক ফলাফল ভাল নয় |
প্রথম দশে রয়েছে একটি হাসপাতাল, ঘাটালের বিদ্যাসাগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র |
৬০০ নম্বরের মধ্যে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র পেয়েছে ৫৮২ |
অর্থাৎ, ৯৭ শতাংশ নম্বর |
প্রথম একশোয় ওই একটি ছাড়া জেলার আর কোনও হাসপাতাল নেই |
Subsets and Splits
No saved queries yet
Save your SQL queries to embed, download, and access them later. Queries will appear here once saved.